title
stringlengths 7
102
| content
stringlengths 39
8k
|
---|---|
দেশের সবাইকে ভ্যাকসিন দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছি: প্রধানমন্ত্রী | পর্যায়ক্রমে সবাইকে ভ্যাকসিন দিতে সরকার উদ্যোগ নিয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, 'কোনো মানুষ যেন ভ্যাকসিন থেকে বাদ না থাকে, আমরা সেভাবে পদক্ষেপ নিয়েছি। 'রবিবার (১৮ জুলাই) গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে মন্ত্রণালয়/বিভাগসমুহের বার্ষিক কর্ম সম্পাদনা চুক্তি (এপিএ) স্বাক্ষর এবং শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে এ কথা বলেন তিনি।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমরা ভ্যাকসিন দিতে শুরু করেছি। ভ্যাকসিন আসছে |
দেশের সবাইকে ভ্যাকসিন দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছি: প্রধানমন্ত্রী | আমাদের দেশের সবাই যেন ভ্যাকসিনটা নিতে পারে, সে জন্য যত দরকার, আমরা তা কিনবো এবং আমরা সেই ভ্যাকসিনটা দেব।তিনি বলেন, কোনো মানুষ যেন ভ্যাকসিন থেকে বাদ না থাকে, সেভাবে কিন্তু আমরা পদক্ষেপ নিয়েছি। আমরা চাচ্ছি যে আমাদের দেশের মানুষ যেন কোনো রকম ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে সরকার প্রধান বলেন, করোনার এ পরিস্থিতিতে সবাই যেন স্বাস্থ্যবিধিটা মেনে চলে, সেদিক দৃষ্টি দিতে হবে। |
আগামী তিন দিন বৃষ্টি বাড়ার সম্ভাবনা | রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। আগামী তিন দিনে দেশে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বৃদ্ধি পেতে পারে বলে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে।আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস বলছে, চলতি মাসের শুরু থেকে মৌসুমি বায়ু কিছুটা দুর্বল হয়ে পড়েছিল। এক সপ্তাহ ধরে দেশের বেশির ভাগ এলাকায় বৃষ্টি হয়নি |
আগামী তিন দিন বৃষ্টি বাড়ার সম্ভাবনা | শনিবার থেকে আবারও বৃষ্টি বাড়তে থাকে। রাজধানীর আকাশে দুপুরের পর থেকে মেঘের আনাগোনা বেড়ে গেলেও বৃষ্টি হয়েছে মাত্র চার মিলিমিটার। আর দেশের সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে নেত্রকোনায় ১৫৩ মিলিমিটার।আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে |
আগামী তিন দিন বৃষ্টি বাড়ার সম্ভাবনা | সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণ হতে পারে। এ ছাড়া সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।এ ব্যাপারে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ শাহিনুল ইসলাম বলেন, আগামী কয়েক দিন ময়মনসিংহ ও রংপুর বিভাগে বৃষ্টি বেশি হতে পারে। অন্য এলাকাগুলোতে বৃষ্টি হবে অঝোরধারায় |
আগামী তিন দিন বৃষ্টি বাড়ার সম্ভাবনা | মৌসুমি বায়ু শক্তিশালী হয়ে ওঠায় বৃষ্টি বেড়েছে বলে জানান তিনি।এর আগে গত শুক্রবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল যশোরে ৩৬ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং আজকের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে রাজারহাটে ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।আবহাওয়া চিত্রের সংক্ষিপ্তসারে বলা হয়েছে, মৌসুমি বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ রাজস্থান, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে দুর্বল অবস্থায় রয়েছে। |
সিদ্দিকী নাজমুলের হার্টের অপারেশন সম্পন্ন | ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলমের হার্টে তিনটি ব্লক ধরা পড়েছে। শনিবার (১৭ জুলাই) লন্ডনের একটি হাসপাতালে তার হার্টে অপারেশন হয়।প্রধানমন্ত্রীর সাবেক উপ প্রেস সচিব আশরাফুল আলম খোকন তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে এ কথা জানান।খোকন তার পোস্টে লেখেন, ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাজমুলের আজ অপারেশন |
সিদ্দিকী নাজমুলের হার্টের অপারেশন সম্পন্ন | হার্টে তিনটা ব্লক ধরা পড়েছে। সেন্ট্রাল লন্ডনের বার্টজ হসপিটালে অপারেশন হচ্ছে। সব বিতর্কের উর্দ্ধে গিয়ে বলতে পারি, তার মতো সাহসী ও ডায়নামিক সংগঠক দলের কোনদিন দুঃসময় এলে অনেক দরকার হবে। একসাথে কাজ করার অভিজ্ঞতা থেকেই বলছি, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে চারদিকে যখন সুনসান নীরবতা তখনও এই ছেলেটা কিছু নেতা-কর্মীকে নিয়ে সবসময় মাঠে সরব ছিল |
সিদ্দিকী নাজমুলের হার্টের অপারেশন সম্পন্ন | নাজমুলের সুস্থতার জন্য সবার দোয়া চান খোকন।এর আগে গত ১৮ জুন ফেসবুকে নিজের অসুস্থতার কথা জানিয়ে সবার কাছে ক্ষমা চেয়ে দীর্ঘ স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন সিদ্দিক নাজমুল। নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে ছাত্রলীগের সাবেক এ নেতা লিখেছিলেন-"সবাই আমাকে আল্লাহর ওয়াস্তে ক্ষমা করে দিয়েন। বাঁচবো কি না জানিনা |
সিদ্দিকী নাজমুলের হার্টের অপারেশন সম্পন্ন | তবে এই চরম মুহূর্তে কিছু সত্য কথা বলে যাই, আমি রাজনীতিটা একমাত্র দেশরত্ন শেখ হাসিনারে মেনেই করতাম এবং করি। কোনদিন তার বাইরে যাইনি।সাবেক অনেক বড় ভাইদের কথায় আমি কখনও চলি নাই বরং পেছনের সারির অনেককে নেতা বানাইছি নিজের ইচ্ছায় আর প্রেম করেছিলাম কিন্তু মানিয়ে নিতে পারিনি তাই বিয়ে হয়নি। আর শেষ কথা হলো বাংলাদেশে কোন ব্যাংকে আমার নামে এক পয়সাও লোন নাই এবং লোনের কোন টাকা বিদেশেও নিয়ে আসিনি |
সিদ্দিকী নাজমুলের হার্টের অপারেশন সম্পন্ন | তদবির ঠিকাদারি দালালি পদ বাণিজ্য কখনও করিনি লন্ডনে গায়ে খাঁটি জীবনে যে কাজ করিনি তা করে জীবন যুদ্ধে লিপ্ত ছিলাম। কিন্তু আমার কপাল ভালো না কিছুক্ষণ আগেই আমার এনজিওগ্রাম সম্পন্ন হয়েছে অনেকগুলো ব্লক ধরা পড়েছে। ওপেন হার্ট সার্জারী করতে হবে, হয়তোবা আজকালের মধ্যেই করবে সরকারি হাসপাতালেই করবে কারণ এই দেশে চিকিৎসা ফ্রি তাই আর কেউ কষ্ট কইরা ভুল তথ্য দিয়েন না, যে কোটি টাকার অপারেশন।যদি মরে যাই একটাই কষ্ট থাকবে নিজের দলের মানুষের প্রতিহিংসার শিকার হয়ে মিডিয়া ট্রায়াল হয়েছে বারবার আমার নামে |
সিদ্দিকী নাজমুলের হার্টের অপারেশন সম্পন্ন | আর আফছোছ হয়তোবা বড় কোন ভাই আমার নামে অনেক মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে আমার নেত্রীর কান ভারী করে রেখেছে সেই ভুলগুলো হয়তো ভাঙিয়ে যেতে পারলাম না।আপা আপনিই আমার মমতাময়ী জননী স্নেহময়ী ভগিনী, আপনাকে অনেক ভালোবাসি। ক্ষমা করে দিয়েন আমাকে। সবাই ভালো থাকবেন আপনাদের আর যন্ত্রণা দিবো না।এস এন আলম বার্থ হাসপাতাল (এন এইচ এস ) লন্ডন ১৮-০৬-২১" |
ঈদের পর পোশাক কারখানা খোলা না বন্ধ? | ঈদের পর তৈরি পোশাক কারখানা খোলা-বন্ধ নিয়ে সংশয় কাটছে না। গতকাল শনিবার ‘লকডাউনে পোশাক কারখানা বন্ধ থাকবে’ জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রীর এমন মন্তব্যে আবারও উৎকণ্ঠায় পড়েছেন এ খাতের উদ্যোক্তারা। উদ্যোক্তাদের আশা, ঈদের ছুটি সংক্ষিপ্ত করা হবে এবং লকডাউনের সময় আগের মতোই বস্ত্র ও পোশাক কারখানা খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেবে সরকার। পোশাক খাতের উদ্যোক্তাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে |
ঈদের পর পোশাক কারখানা খোলা না বন্ধ? | উদ্যোক্তারা বলেন, সরকার পোশাক ও বস্ত্র খাতের চাওয়া-পাওয়ার বিষয়ে অত্যন্ত আন্তরিক। এর আগে তাঁরা যা চেয়েছেন, তা পেয়েছেন। ফলে তাঁরা বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের প্রভাব থেকে ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছেন। এদিকে ঈদের লম্বা ছুটি তাঁদের আবারও বড় ধরনের সংকটে ফেলে দেবে |
ঈদের পর পোশাক কারখানা খোলা না বন্ধ? | ছুটি সংক্ষিপ্ত করা না হলে পোশাক খাতের জন্য ভয়াবহ সংকট তৈরি হবে বলে তাঁদের আশঙ্কা।গতকাল চুয়াডাঙ্গায় জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের ‘লকডাউনে পোশাক কারখানা বন্ধ থাকবে’ এমন মন্তব্যকে ব্যক্তিগত অভিমত বলে মনে করেন উদ্যোক্তারা। এ বিষয়ে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে আলোচনা চলছে। উদ্যোক্তাদের আশা, আজ রবিবার সরকারি ছুটি শেষে ইতিবাচক বার্তা আসবে |
ঈদের পর পোশাক কারখানা খোলা না বন্ধ? | উদ্যোক্তারা বলেন, সদ্যোবিদায়ী অর্থবছরে পোশাক রপ্তানিতে এ খাত ভালো করেছে। ভারত, ভিয়েতনাম ও মিয়ানমারের পোশাক ক্রেতাদের কিছু অংশ বাংলাদেশে আসছে এবং নতুন অর্ডার দিচ্ছে। এ সময় কারখানা দীর্ঘ মেয়াদে বন্ধ থাকলে শীত মৌসুমের কার্যাদেশ হারানোর আশঙ্কা রয়েছে। এ ছাড়া ডিসকাউন্টে (ছাড়ে) বা উড়োজাহাজে তাদের পণ্য পাঠাতে হতে পারে |
ঈদের পর পোশাক কারখানা খোলা না বন্ধ? | এ জন্য তাঁদের বড় ধরনের সংকটে পড়তে হতে পারে বলে তাঁরা আশঙ্কা করছেন।জানতে চাইলে তৈরি পোশাক খাতের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএর সহসভাপতি মো. শাহীদউল্লা আজিম কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘ছুটি সংক্ষিপ্ত করা নিয়ে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে আলোচনা চলছে। এটা করা না হলে দেশের পোশাক খাত বড় ধরনের সংকটে পড়বে। আমাদের আশা, আজ রবিবার সরকারের কাছ থেকে একটা ইতিবাচক বার্তা পাওয়া যাবে |
ঈদের পর পোশাক কারখানা খোলা না বন্ধ? | ’এর আগে গত বৃহস্পতিবার জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শেষে বিজিএমইএর সভাপতি মো. ফারুক হাসান গণমাধ্যমকর্মীদের বলেছিলেন, তাঁরা আশাবাদী, সরকার পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে কঠোর লকডাউনকালে আগের মতোই বস্ত্র ও পোশাক কারখানা খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেবে। কারণ শিল্প-কারখানা খোলা রাখা না হলে অর্থনীতিতে মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়বে এবং গতকাল একটি ইতিবাচক সিদ্ধান্ত পাওয়ার অপেক্ষায় ছিলেন তিনি।জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী গতকাল চুয়াডাঙ্গায় এক অনুষ্ঠানে গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, পবিত্র ঈদুল আজহার পর ২৩ জুলাই সকাল ৬টা থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত কঠোর লকডাউনে গার্মেন্টসহ সব ধরনের শিল্প-কারখানা বন্ধ থাকবে।বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, আগামী লকডাউনে পোশাক কারখানা বন্ধ থাকবে—এ তথ্য আন্তর্জাতিক মিডিয়াসহ বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রচারের কারণে ব্র্যান্ড এবং ক্রেতারা আবার রপ্তানি আদেশ কমিয়ে দিতে শুরু করেছেন। |
দেশ ও বিদেশে বঙ্গবন্ধুচর্চা | অতি সম্প্রতি ভারতের অন্যতম প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বঙ্গবন্ধু চেয়ার’ প্রতিষ্ঠার খবরটি গণমাধ্যমে যথাযোগ্য গুরুত্বে প্রচারিত হয়েছে। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় ও ‘ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব কালচারাল রিলেশনস’ কর্তৃপক্ষ, যারা উদ্যোগটি নিয়েছিল তারা জানিয়েছে, চেয়ারটি প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের রক্তার্জিত স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি ও বাংলাদেশের জাতির জনকের জন্মশতবার্ষিকীর প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে।ব্রিটিশ ভারতে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার একটা ঐতিহাসিক পটভূমি আছে। ১৯১১ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি ইংল্যান্ডের রাজা পঞ্চম জর্জ এক রাজকীয় দরবারে কলকাতা থেকে ব্রিটিশ ভারতের রাজধানী দিল্লিতে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন |
দেশ ও বিদেশে বঙ্গবন্ধুচর্চা | কিন্তু সিদ্ধান্তটি বাস্তবায়িত হয় আরো ২০ বছর পর লর্ড আরউইনের হাতে ১৯৩১ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি। ১৯৩০-এর দশকে এসে সিদ্ধান্তটি ত্বরান্বিত হয় স্বদেশি আন্দোলনের তীব্রতায় এবং বিশেষত বঙ্গভঙ্গ রোধ আন্দোলনে বাঙালি জনগোষ্ঠীর সক্ষমতায়। ব্রিটিশ ঔপনিবেশিকরা কলকাতা ছাড়ার প্রস্তুতি নিতে থাকে নানা কারণে। প্রধানতম কারণ যে বাংলার মহানগরী কলকাতা তাদের জন্য ক্রমান্বয়েই অনিরাপদ হয়ে উঠেছিল |
দেশ ও বিদেশে বঙ্গবন্ধুচর্চা | অতএব সুবিশাল ভারতকে শাসন করার সিদ্ধান্ত নেয় তারা অধিকতর নিরাপদ দিল্লি থেকে। এই স্থানান্তরের পর থেকেই ব্রিটিশের নতুন রাজধানী হিসেবে গড়ে উঠতে থাকে দিল্লি। এর আগে এই শহরে কোনো বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে ওঠেনি। সুদীর্ঘ ঔপনিবেশিক আধিপত্যকালে এই শহরে প্রথমত ১৭৯২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় দিল্লি কলেজ, যা জাকির হোসেন কলেজ নামে এখন পরিচিত |
দেশ ও বিদেশে বঙ্গবন্ধুচর্চা | এরপর ১৮৮১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় সেন্ট স্টিফেন কলেজ, ১৮৯৯ সালে গড়ে ওঠে হিন্দু কলেজ এবং ১৯১৭ সালের রামজাস কলেজ। এরপর ১৯২২ সালে গড়ে ওঠে দিল্লি ইউনিভার্সিটি। সেই থেকে এই বিশ্ববিদ্যালয়টি ভারতের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ, যেখান থেকে ভারতীয় রাজনীতি, বিজ্ঞান ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক অঙ্গনের বহু শ্রেষ্ঠ মানুষের জন্ম ঘটেছে। পরবর্তী সময়ে স্বাধীন ভারতের প্রায় সব প্রান্তে বড় এবং বিশ্বখ্যাত বহু বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে উঠেছে, কিন্তু দিল্লি ইউনিভার্সিটি আজও তার ইতিহাস ও ঐতিহ্য নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে |
দেশ ও বিদেশে বঙ্গবন্ধুচর্চা | অতএব এমন একটি মর্যাদাশীল উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রজনকের নামে একটি চেয়ার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার বিষয়টি নিঃসন্দেহে গুরুত্ব বহন করে।বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জনক ও স্বপ্নদ্রষ্টা, যিনি পাকিস্তানের ২৩ বছরের সামরিক ও ধর্মতান্ত্রিক নিপীড়নের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন। তাঁরই নেতৃত্বে পূর্ববঙ্গ বা সেদিনকার পূর্ব পাকিস্তান স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে সর্বাত্মক মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে। তিনি মৃত্যুবরণ করেছেন চার দশকেরও বেশি সময় আগে, দেশের স্বাধীনতার প্রতিপক্ষদের সম্মিলিত আগ্রাসনে |
দেশ ও বিদেশে বঙ্গবন্ধুচর্চা | ১৯৭৫-এর সেই হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে ঘাতকরা সদ্যঃস্বাধীন বাংলাদেশের স্বাভাবিক যাত্রাপথ রুদ্ধ করতে চেয়েছিল। অনেকটা সফলও হয়েছিল তারা। যে জাতীয় চেতনা ও আদর্শের ভিত্তিতে এই যুগশ্রেষ্ঠ মহানায়কের নেতৃত্বে পাকিস্তান রাষ্ট্রের সাম্প্রদায়িক আধিপত্যবাদী অগণতান্ত্রিক অপশাসনের বিরুদ্ধে বাঙালি গণমানুষ একটি জাতীয় গণবিপ্লব সম্পন্ন করেছিল, সেই আদর্শকেই প্রতিপক্ষরা ধ্বংস করতে চেয়েছিল। তারা বঙ্গবন্ধুকে বিস্মৃতিতে হারিয়ে দিতে চেয়েছিল |
দেশ ও বিদেশে বঙ্গবন্ধুচর্চা | কিন্তু ইতিহাসের অমোঘ নিয়মেই দুই যুগের অমানিশার পর নতুন ভোরের আলো দেখা দিয়েছে, বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ পুনর্জাগরিত হয়েছে। অতএব বাংলাদেশের ইতিহাস ও তার অন্তরাত্মার সঠিক পরিচর্চা ও সংরক্ষণে বঙ্গবন্ধুচর্চা একটি অতি জরুরি কাজ। এটি কোনো হুজুগে রাজনৈতিক বিষয় নয়, কোনো শ্রেণি বা পেশার সাময়িক স্বার্থসিদ্ধির ব্যাপারও নয়, এটি এমন এক অতি প্রয়োজনীয় জাতীয় দায়িত্ব, যাকে সম্পাদন করতে হবে পরিপূর্ণ আবেগ ও ইতিহাসের নির্মোহ দৃষ্টিকোণ থেকে।বাংলাদেশের বেশ কিছু পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এরই মধ্যে এসব কাজে ব্রতী হয়েছে |
দেশ ও বিদেশে বঙ্গবন্ধুচর্চা | তারা বঙ্গবন্ধু চেয়ার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে জাতির পিতার জীবনাদর্শ নিয়ে গবেষণায় আছে। এই উদ্যোগগুলো নিঃসন্দেহে প্রশংসা পাওয়ার যোগ্য। কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয় চেয়ার প্রতিষ্ঠা ছাড়াও পূর্ণ নতুন কোর্স ও ডিপার্টমেন্ট খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এরই মধ্যে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গবন্ধুর নামে তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ে একটি ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করেছে |
দেশ ও বিদেশে বঙ্গবন্ধুচর্চা | আমি মনে করি এসব উদ্যোগ প্রশংসা পাওয়ার যোগ্য।তবে স্বভাবতই প্রশ্ন উঠবে এসব উদ্যোগের কতটা নিছক রাজনীতির হুজুগে বিবেচনায় বা কতটা সত্যিকারের বোধ থেকে উৎসারিত। দেশে সম্ভবত এখন ৩৭টি কিংবা আরো বেশি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় আছে, আছে ৯৫টি ব্যক্তিমালিকানার বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু কয়েকটি মাত্র পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় বাদে অন্য কোথাও বঙ্গবন্ধু চেয়ার প্রতিষ্ঠিত হয়নি |
দেশ ও বিদেশে বঙ্গবন্ধুচর্চা | ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগে বঙ্গবন্ধু চেয়ার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ১৯৯৯ সালে। ২০১৬ সালে ‘বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস’ বঙ্গবন্ধু চেয়ার প্রতিষ্ঠা করে। এরপর কুষ্টিয়ার ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে বঙ্গবন্ধু চেয়ার প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। তারও পরে চেয়ারটি প্রতিষ্ঠা পায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক অনুষদে |
দেশ ও বিদেশে বঙ্গবন্ধুচর্চা | খুলনা ইঞ্জিনিয়ারিং ও প্রযুুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়েও চেয়ারটি স্থাপন করা হয়েছে জানতে পেরেছি। এসব উদ্যোগের পেছনের মূল উদ্দেশ্য মহান এই নেতার জীবন ও কর্ম, তাঁর রাজনীতি ও আদর্শ এবং বাংলাদেশের ইতিহাস বিষয়ে ব্যাপক গবেষণা কর্মসূচি গ্রহণ করা। তবে কতটা সফলভাবে এসব উদ্যোগ প্রয়োজনীয় গবেষণায় রত হতে পেরেছে এবং যদি না পেরে থাকে তাহলে সীমাবদ্ধতাগুলো কী, সেগুলোও মূল্যায়নের দাবি রাখে বৈকি।জাতির পিতার নামে এমন কোনো চেয়ার প্রতিষ্ঠার সঙ্গে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও কর্ম নিয়ে গবেষণার বিষয়টি নিশ্চয়ই গুরুত্বপূর্ণ |
দেশ ও বিদেশে বঙ্গবন্ধুচর্চা | যত দূর জানি, এসব পদে যাঁরাই নিয়োগ পাবেন তাঁদের মূল কাজ হবে গবেষণা এবং নির্মোহ ঐতিহাসিক দৃষ্টিকোণ থেকে নানা যোগ্য কর্মসূচি নিয়ে চেয়ারটির মর্যাদা রক্ষা করা। এসব কাজ অবশ্যই দৃশ্যমান হতে হবে, অন্যথায় এই চেয়ার প্রতিষ্ঠা অর্থহীন হবে। বলা বাহুল্য, দেশীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগ এরই মধ্যে দেশের বিভিন্ন মহলে বিশেষ আগ্রহের সৃষ্টি করেছে। কারণ বঙ্গবন্ধু চেয়ারের প্রতিষ্ঠা দেওয়া হয়েছে মূলত কয়েকটি বিষয়কে মাথায় রেখে |
দেশ ও বিদেশে বঙ্গবন্ধুচর্চা | সেখানে রয়েছে যেমন বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা-পূর্ব ও স্বাধীনতা-উত্তর রাজনৈতিক জীবন, তেমনি আছে সদ্যঃস্বাধীন দেশের আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো নির্মাণে তাঁর অবদানের চুলচেরা বিশ্লেষণের প্রয়োজনীয়তা। আমার বিশ্বাস, জাতীয় ইতিহাসের এসব মৌলিক দিকগুলোর ওপর বিস্তারিত ও বস্তুনিষ্ঠ গবেষণা হওয়া উচিত। কারণ এসবের মধ্য দিয়েই বঙ্গবন্ধু নতুন প্রজন্মের মানুষের কাছে স্বমহিমায় প্রস্ফুটিত হবেন।শুধু দেশের মাটিতে নয়, কিছু কিছু ক্ষেত্রে বিদেশের মাটিতেও বঙ্গবন্ধু চেয়ার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে |
দেশ ও বিদেশে বঙ্গবন্ধুচর্চা | এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে থাইল্যান্ডে অবস্থিত এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি, যা একটি আন্তর্জাতিক মর্যাদাশীল প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। এই চেয়ারে যাঁরা বসবেন তাঁরা আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির বিষয়ে উচ্চতর গবেষণায় রত হবেন, যেন তা বিশ্বে শান্তি ও সৌহার্দ স্থাপনে ভূমিকা রাখে। যত দূর জানি, এআইটিতে ‘বঙ্গবন্ধু চেয়ার ফেলো’ বৃত্তিও দেওয়া হচ্ছে, যা গবেষণারত ছাত্র-ছাত্রীদের সহায়তা করে। কলকাতার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের খ্যাতিমান অধ্যাপক জয়শ্রী রায় এই চেয়ারের প্রথম ব্যক্তি |
দেশ ও বিদেশে বঙ্গবন্ধুচর্চা | আইইটির চেয়ারটির পত্তন করা হয়েছে মুখ্যত বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের ওপর গবেষণা এবং একই সঙ্গে ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ, উচ্চশিক্ষা, ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি এবং সেই সঙ্গে ইঞ্জিনিয়ারিং ও প্রযুুক্তি ক্ষেত্রে উচ্চতর গবেষণার লক্ষ্যে।অন্যদিকে ব্রাজিলের মর্যাদাপূর্ণ ‘দি ইউনিভার্সিটি অব ব্রাজিল’ তার ‘সাউথ এশিয়ান স্টাডিজ’ ডিপার্টমেন্টে বঙ্গবন্ধু চেয়ার প্রতিষ্ঠা করেছে। দৃশ্যতই এই উদ্যোগ লাতিন আমেরিকার সমাজে ব্যাপক আগ্রহের সৃষ্টি করেছে। খ্যাতিমান বিশ্ববিদ্যালয়টি একই সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ পর্তুগিজ ভাষায় অনুবাদেরও উদ্যোগ নিয়েছে |
দেশ ও বিদেশে বঙ্গবন্ধুচর্চা | ভারত বিশ্বের সর্ববৃহৎ গণতন্ত্র এবং ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সর্বপ্রধান মিত্র দেশ। অন্যদিকে দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলে বাংলাদেশের সঙ্গে দীর্ঘ সীমান্তঘেরা ভারত, যার সঙ্গে গণমানুষের ঐতিহাসিক মেলবন্ধন আছে। অতএব ভারতের মাটিতে কোনো সুপ্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ে যখন বঙ্গবন্ধু চেয়ার প্রতিষ্ঠা পায়, তখন তা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হবে, সেটিই প্রার্থিত। স্বভাবতই আশা করতে পারি যে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু চেয়ারটি একদিকে যেমন ভারত ও বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে, অন্যদিকে আঞ্চলিক শান্তি ও সৌহার্দ স্থাপনে এর তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা থাকবে |
দেশ ও বিদেশে বঙ্গবন্ধুচর্চা | জেনেছি, চলতি বছরে ঢাকা সফরকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বৈঠকে চেয়ারটি স্থাপনের সিদ্ধান্তটি নেওয়া হয়েছে। উদ্যোগটি দুই দেশের সাংস্কৃতিক সহযোগিতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখুক, একই সঙ্গে জ্ঞানবিজ্ঞান, প্রযুক্তি, শিল্পকলার বিকাশ ও লেনদেনে ভূমিকা রাখুক—এই আমাদের প্রত্যাশা। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক পি সি যোশী বলেছেন, ভারতের মাটিতে সর্বপ্রথম বঙ্গবন্ধু চেয়ার প্রতিষ্ঠার উপলক্ষটি নিঃসন্দেহে ঐতিহাসিক, কারণ বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জনক বঙ্গবন্ধু হচ্ছেন স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও মুক্ত জীবনের প্রতীক। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নৃতত্ত্ব, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, সমাজবিজ্ঞান, ইতিহাস, অর্থনীতিসহ বিভিন্ন বিষয়ের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা এই চেয়ার অলংকৃত করবেন এবং এতে বাংলাদেশসহ দেশ-বিদেশের শিক্ষার্থীদের পড়ার সুযোগ উন্মুক্ত হবে |
দেশ ও বিদেশে বঙ্গবন্ধুচর্চা | আমার বিশ্বাস, দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু চেয়ার পরিবর্তিত সময়ের বাস্তবতায় দুই দেশের সাংস্কৃতিক সম্পর্ক উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারে, যদি উপযুক্ত কর্মপরিকল্পনায় অগ্রসর হওয়া যায়। প্রাথমিকভাবে জেনেছি, এই চেয়ারের আওতায় নৃতত্ত্ব, ভূগোল, ইতিহাস, বাংলাসহ আধুনিক ভাষাগুলো, সংগীত, শিল্পকলা, আন্তর্জাতিক সম্পর্কসহ সমাজবিজ্ঞান নিয়ে উচ্চতর গবেষণা হবে। আশা রাখি ভারতের মাটিতে এই বঙ্গবন্ধু চেয়ার এসব গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো সম্পাদন করতে সফল হবে। কারণ বাংলাদেশের হলেও বঙ্গবন্ধু এমন এক ব্যক্তিত্ব, যাঁর জীবন-সংগ্রাম ও আদর্শ আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সম্পর্কের উন্নয়নে তাৎপর্যবহ |
দেশ ও বিদেশে বঙ্গবন্ধুচর্চা | শুধু ভাষা ও সাংস্কৃতিক নৈকট্য নয়, শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও কর্ম একই সঙ্গে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের জন্যও বিশেষভাবে প্রাসঙ্গিক। তিনি শুধু ১৯৪৭ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ইসলামিয়া কলেজ থেকে গ্র্যাজুয়েশন লাভ করেননি, একই সঙ্গে বিভাগপূর্ব কালের জনজীবনের দ্বন্দ্ব, তিক্ততা ও নানা অভিজ্ঞতা তাঁকে এমনভাবে সমৃদ্ধ করেছিল যে তিনি তাঁর সময়ে মানুষে মানুষে সৌহার্দ ও শান্তি স্থাপনের অগ্রদূত হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিলেন। সে কারণে ঐতিহ্যবাহী কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু চেয়ার প্রতিষ্ঠিত হলে তা দুই দেশের গণমানুষের মধ্যে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে আমার বিশ্বাস। বঙ্গবন্ধু শুধু সফল প্রবাদতুল্য রাজনীতিবিদ ছিলেন না, ছিলেন একই সঙ্গে প্রবল অসাম্প্রদায়িক ও সাহসী সমাজসংস্কারকও, যিনি সব কূপমণ্ডূকতার বাইরে দাঁড়িয়ে ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে মানুষকে সত্যের পথে সাহসী করে তুলেছিলেন। কাজেই তাঁর মানবতাবাদী নীতি ও আদর্শ শুধু আজকের জন্য নয়, অনাগত দিনের সমাজ নির্মাণেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে।লেখক : গবেষক ও সমাজচিন্তক |
ক্রস বর্ডার হায়ার এডুকেশন বনাম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় | ‘প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি অ্যাক্ট ১৯৯২’ মোতাবেক বাংলাদেশে ১৯৯২ সাল থেকে বেসরকারি খাতে উচ্চশিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়। তৎপরবর্তী সময়ে আইনটি ১৯৯৮ সালে কিছুটা সংশোধন করা হয়, যা ‘প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি অ্যাক্ট ১৯৯২ অ্যান্ড ইটস অ্যামেন্ডমেন্ট ১৯৯৮’ নামে পরিচিত। আইনটি সর্বশেষ সমন্বিত আকারে গেজেটভুক্ত হয় ২০১০ সালের ১৮ জুলাই, ‘প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি অ্যাক্ট ২০১০’ নামে।অন্যদিকে ১৯৮৯ সালে ট্রেড লাইসেন্সের মাধ্যমে বেসরকারি কিছু ইনস্টিটিউট ক্রস বর্ডার হায়ার এডুকেশন (সিবিএইচই) শুরু করে |
ক্রস বর্ডার হায়ার এডুকেশন বনাম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় | তারা সে সময় শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন গ্রহণের চেষ্টা করছিল; কিন্তু তখন এসংক্রান্ত কোনো আইন ছিল না, এমনকি সমস্যাটি সমাধানের জন্য মন্ত্রণালয়ে কোনো ডেস্ক পর্যন্ত ছিল না বা এর উপযোগিতাও তৈরি হয়নি। এসব ইনস্টিটিউটের উদ্যোক্তা ও সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের উদ্যোগে ইউজিসি এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর মধ্যে কয়েক বছরব্যাপী দফায় দফায় বৈঠক, সংলাপ, সেমিনার ও অন্যান্য উদ্যোগের পর শিক্ষা মন্ত্রণালয় সিবিএইচইর প্রয়োজনীয়তা অনুধাবন করতে সক্ষম হয় এবং ‘প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি অ্যাক্ট ২০১০’ আইনটিতে অনুমোদন নিয়ে সিবিএইচই পরিচালনার বিধানটি সংযুক্ত করা হয়। এই আইনের ৩৯(২) বিধান অনুযায়ী শিক্ষা মন্ত্রণালয় ২০১৪ সালের ২৬ এপ্রিল একটি প্রবিধান প্রণয়ন করে ও ইউজিসি সিবিএইচই পরিচালনায় আগ্রহী প্রতিষ্ঠানগুলোকে অধিভুক্তি গ্রহণের আবেদনের আহ্বান জানিয়ে ২০১৪ সালের ২২ সেপ্টেম্বর একটি বাংলা ও একটি ইংরেজি দৈনিকে নোটিশ প্রকাশ করে। যত দূর জানা যায়, তখন থেকে এখন অবধি সাকল্যে ১৪টি আবেদন জমা পড়েছে |
ক্রস বর্ডার হায়ার এডুকেশন বনাম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় | একই প্রবিধান অনুযায়ী ইউজিসির তৎকালীন চেয়ারম্যান মহোদয়ের নেতৃত্বে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসির ছয় সদস্যের প্রতিনিধিদল সিবিএইচই প্রভাইডারদের সাতটি বৈদেশিক ক্যাম্পাস (ছয়টি যুক্তরাজ্যে ও একটি অস্ট্রেলিয়া) পরিদর্শন করেন। এরই মধ্যে একটি স্টাডি সেন্টারকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, যাদের সিবিএইচই পরিচালনার কোনো পূর্ব অভিজ্ঞতা নেই। যারা সিবিএইচই পরিচালনায় দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞ, তাদের আবেদন এখনো ঝুলে রয়েছে। অথচ সব আইন ও প্রবিধান মেনে এবং সব সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করেই তারা আবেদন করেছে |
ক্রস বর্ডার হায়ার এডুকেশন বনাম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় | তাদের অনুমোদন পাওয়ার সব যোগ্যতা ও অধিকার রয়েছে।এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি (এপিইউবি) তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। তারা সিবিএইচই ক্যাম্পাস বা স্টাডি সেন্টারের অনুমোদনসংক্রান্তদের যৌক্তিক মতামত তুলে ধরেছে, যা ‘প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি অ্যাক্ট ২০১০’-এর সঙ্গেও খুবই সংগতিপূর্ণ।এমন পরিস্থিতিতে সমাধান কী? এর সমাধান খুঁজতে হলে বর্তমান পরিস্থিতি কিছুটা আলোকপাত করা যাক |
ক্রস বর্ডার হায়ার এডুকেশন বনাম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় | দৃশ্যপট : বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যাত্রা শুরুর পর থেকে নানা ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে এরই মধ্যে প্রায় তিন দশক অতিক্রম করেছে। এখন এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকটির অস্তিত্ব একপ্রকার দৃশ্যমান বাস্তবতা। কিছু কিছু ক্ষেত্রে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সাফল্য খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অবশ্যই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিকল্প নয়, বরং তারা স্বীয় শক্তি নিয়েই দাঁড়িয়ে গেছে |
ক্রস বর্ডার হায়ার এডুকেশন বনাম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় | শুরুর দিকে শিক্ষার্থীরা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ না পেলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতেন। তবে সেই দৃশ্য এখন কিছুটা হলেও পাল্টে গেছে। এখন বেশ কিছু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার গুণগত মানে এতটাই উতরে গেছে যে শিক্ষার্থীরা কোনো বিকল্প না খুঁজে সরাসরি সেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হচ্ছেন। যেসব শিক্ষার্থী দেশের বাইরে উচ্চশিক্ষার উদ্দেশ্যে যেতেন তাঁদেরই বেশির ভাগ এখন দেশেই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছেন |
ক্রস বর্ডার হায়ার এডুকেশন বনাম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় | ফলে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রার প্রবাহ কমেছে।কিছু কিছু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা খাতে অসাধারণ কাজ করছে। অথচ একসময় গবেষণা না করার জন্য এদের অভিযুক্ত করা হতো। ক্রমবর্ধমান শিক্ষার্থী, শিক্ষার্থীদের চাকরিপ্রাপ্তি, শিক্ষাবৃত্তি, সহশিক্ষা কার্যক্রম ইত্যাদি ক্ষেত্রে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অর্জন খুবই প্রশংসনীয় |
ক্রস বর্ডার হায়ার এডুকেশন বনাম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় | কিছু কিছু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় পিএইচডি কার্যক্রম পরিচালনার সক্ষমতা অর্জন করেছে; কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো বিশ্ববিদ্যালয়কে পিএইচডি প্রগ্রাম পরিচালনার অনুমতি দেওয়া হয়নি। পিএইচডি কিংবা গবেষণা ডিগ্রি পরিচালনা ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আন্তর্জাতিক মান অর্জন করা প্রায় অসম্ভব।অন্যদিকে কিছু কিছু বিশ্ববিদ্যালয় পর্যাপ্ত শিক্ষার্থী ভর্তি করাতে না পেরে নানা সমস্যা মোকাবেলা করছে এবং শিক্ষার গুণগত মান অর্জন করতে পারছে না। তারা ভবন ভাড়া, বেতন, গবেষণা তহবিল, স্থায়ী ক্যাম্পাস উন্নয়ন ইত্যাদি কার্যক্রম পরিচালনা করতে ভীষণ সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে |
ক্রস বর্ডার হায়ার এডুকেশন বনাম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় | এ ছাড়া অন্য প্রচুর বাধা আছে (যেমন—নতুন প্রগ্রাম অনুমোদন নেওয়া, ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করা ইত্যাদি)। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে যেহেতু সরকারি অনুদান নেই, সেহেতু শিক্ষার্থীর সংখ্যা ও তাদের টিউশন ফির ওপরই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সাসটেইনেবিলিটি নির্ভর করে।দৃশ্যপট : বেসরকারি সিবিএইচই প্রভাইডার্স১৯৮৯ সালে লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে আইন বিষয়ে দূরশিক্ষণ ডিপ্লোমা প্রগ্রাম এবং ১৯৯০ সালে যুক্তরাজ্যেও এনসিসি এডুকেশনের অধীনে ইন্টারন্যাশনাল ডিপ্লোমা ইন ইনফরমেশন টেকনোলজি (আইটি) প্রগ্রাম চালু হয়। এরপর বেশ কিছু বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যুক্ত হয়ে বাংলাদেশের বেশ কিছু বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আইন, আইটি ও ব্যবসায় প্রশাসন বিষয়ে অনার্স প্রগ্রাম চালু করেন |
ক্রস বর্ডার হায়ার এডুকেশন বনাম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় | প্রতিবছর কয়েক হাজার গ্র্যাজুয়েট এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে সফলতার সঙ্গে পাস করে বের হচ্ছেন এবং তাঁরা দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখছেন। দূরশিক্ষণের মাধ্যমে গ্র্যাজুয়েট হওয়া এসব শিক্ষার্থীর সাফল্য উল্লেখযোগ্য। বেশির ভাগ গ্র্যাজুয়েট ব্রিটিশ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্র্যাজুয়েট সনদ অর্জন করেছেন। এসব ব্রিটিশ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বাংলাদেশে চূড়ান্ত পরীক্ষা গ্রহণ করে ব্রিটিশ কাউন্সিল |
ক্রস বর্ডার হায়ার এডুকেশন বনাম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় | সিবিএইচই পরিচালনা করে এমন সব প্রতিষ্ঠান অনেকবার ইউজিসি ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিদের সঙ্গে বৈঠক করেছে এবং আবেদন জানিয়েছে, কিন্তু কোনো অনুমোদন মেলেনি। সবচেয়ে দুর্ভাগ্যজনক বিষয় হচ্ছে, সম্ভাবনাময় সিবিএইচই সেক্টর নিয়ে কাজ করার মতো কোনো ডেস্ক পর্যন্ত নেই।যাই হোক, নানা বৈঠক, সংলাপ, সেমিনার ইত্যাদির পর শেষমেশ ইউজিসি ও মন্ত্রণালয় বিষয়টির গুরুত্ব অনুধাবন করে ‘প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি অ্যাক্ট ২০১০’ প্রণয়ন করে এবং এই আইনের আলোকে ২০১৪ সালে একটি প্রবিধান তৈরি করে, যার ৪(৩)-ঝ ধারা অনুসারে বিদ্যমান সিবিএইচই প্রভাইডারদের অনুমোদনসংক্রান্ত বিষয় রয়েছে।অন্যদিকে করোনা মহামারির কারণে শুধু বাংলাদেশেই নয়, বৈশ্বিক পরিসরে অনলাইন শিক্ষা এক নতুন বাস্তবতা হিসেবে দেখা দিয়েছে |
ক্রস বর্ডার হায়ার এডুকেশন বনাম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় | এটি চলতে থাকবে এবং করোনার পরও আমাদের নতুন স্বাভাবিকতা হিসেবে অনলাইনকে মেনে নিতে হবে। আমরা মনে করছি না যে অনলাইন শিক্ষা ক্লাসরুম শিক্ষার বিকল্প হয়ে উঠবে। তবে দুই মাধ্যমের সংমিশ্রণে একটি ‘ব্লেন্ডেড লার্নিং’ বা ‘হাইব্রিড মডেল’ চালু থাকবে। ক্রস বর্ডার হায়ার এডুকেশনের (সিবিএইচই) সঙ্গে এ ধরনের শিক্ষার মিল রয়েছে |
ক্রস বর্ডার হায়ার এডুকেশন বনাম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় | আমরা এখনই যদি এই নতুন স্বাভাবিকতাকে আত্মস্থ করতে না পারি, তবে বিশ্বায়নের এই যুগে জাতি হিসেবে নিঃসন্দেহে পিছিয়ে পড়ব।সিবিএইচই এবং এর ইউনেসকো সংজ্ঞাইউনেসকোর সংজ্ঞা অনুযায়ী ক্রস বর্ডার হায়ার এডুকেশন হচ্ছে এমন এক ধরনের শিক্ষা, যেখানে ছাত্র, শিক্ষক, প্রগ্রাম, শিক্ষা উপকরণ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ইত্যাদি জাতীয় সীমা অতিক্রম করে থাকে। ক্রস বর্ডার হায়ার এডুকেশনকে পাবলিক, প্রাইভেট এবং অলাভজনক প্রতিষ্ঠানগুলোতে অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে। মুখোমুখি শিক্ষার সম্প্রসারণ হিসেবে (বিদেশে ভ্রমণকারী শিক্ষার্থী এবং বিদেশি ক্যাম্পাসে পড়া শিক্ষার্থী) দূরশিক্ষণকে (বিভিন্ন প্রযুক্তি ব্যবহার করে) গ্রহণ করা যেতে পারে |
ক্রস বর্ডার হায়ার এডুকেশন বনাম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় | ইউনেসকোর সনদ স্বাক্ষরিত সদস্যভুক্ত দেশ হিসেবে এবং সিবিএইচইর পক্ষে যেহেতু উচ্চ আদালতের রায় রয়েছে, সেহেতু ক্রস বর্ডার হায়ার এডুকেশনের অনুমোদন দেওয়া থেকে পিছিয়ে আসার কোনো সুযোগ নেই। অন্যদিকে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি (এপিইউবি) বলছে, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০১০ এবং সিবিএইচই প্রবিধান পরস্পর সাংঘর্ষিক, সেটাও অগ্রহণযোগ্য নয়।প্রস্তাবিত সমাধান‘প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি অ্যাক্ট ২০১০’ আইনটির শিরোনামই সাধারণত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাকে নির্দেশ করে। অথচ সিবিএইচই বিদেশি প্রাইভেট ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে দেশের ছোটখাটো ইনস্টিটিউটগুলোর সম্পৃক্ততা নির্দেশ করে, যাদের ‘প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি অ্যাক্ট ২০১০’-এর অনেক কিছুই মানার বাধ্যবাধকতা নেই |
ক্রস বর্ডার হায়ার এডুকেশন বনাম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় | তদুপরি আইন ও প্রবিধানের সঙ্গেও কিছু দ্বন্দ্ব রয়েছে, যা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি এরই মধ্যে স্পষ্ট করেছে।এহেন পরিস্থিতিতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর (আগ্রহী) অধীনে সিবিএইচই ইনস্টিটিউট অনুমোদন প্রদানই হতে পারে এই সমাস্যার যৌক্তিক সমাধান। এ জন্য সিবিএইচই প্রবিধানের সামান্য সংশোধন করতে হবে। এ ব্যবস্থায় বিদ্যমান সিবিএইচই প্রভাইডার্স বা নতুন সিবিএইচই উদ্যোক্তারা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে পারস্পরিক বোঝাপড়ার মাধ্যমে সিবিএইচই ইনস্টিটিউট স্থাপন ও পরিচালনা করবেন |
ক্রস বর্ডার হায়ার এডুকেশন বনাম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় | এসব ইনস্টিটিউট ‘প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি অ্যাক্ট ২০১০’ পরিপূর্ণ আইন ও বিধি মেনে চলবে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের সামনে সিবিএইচই ছাড়াও ভিন্ন কিছু বাতায়ন (যেমন—জয়েন্ট ডিগ্রি, ভেলিডেটেড ডিগ্রি, ফ্র্যাঞ্চাইজ প্রগ্রাম, এক্সচেঞ্জ প্রগ্রাম) উন্মুক্ত হবে। এই বিধি ও প্রবিধি অনুযায়ী বাংলাদেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যেন বিদেশে নিজেদের শাখা ক্যাম্পাসও খুলতে পারবে, সে ব্যবস্থা রাখা বাঞ্ছনীয় মনে করি।লেখক : গ্রুপ সিইও, ড্যাফোডিল ফ্যামিলি |
পোশাক কারখানা খোলা-বন্ধ নিয়ে কাটছে না সংশয় | ঈদের পর তৈরি পোশাক কারখানা খোলা-বন্ধ নিয়ে সংশয় কাটছে না। গতকাল শনিবার ‘লকডাউনে পোশাক কারখানা বন্ধ থাকবে’ জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রীর এমন মন্তব্যে আবারও উৎকণ্ঠায় পড়েছেন এ খাতের উদ্যোক্তারা। উদ্যোক্তাদের আশা, ঈদের ছুটি সংক্ষিপ্ত করা হবে এবং লকডাউনের সময় আগের মতোই বস্ত্র ও পোশাক কারখানা খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেবে সরকার। পোশাক খাতের উদ্যোক্তাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে |
পোশাক কারখানা খোলা-বন্ধ নিয়ে কাটছে না সংশয় | উদ্যোক্তারা বলেন, সরকার পোশাক ও বস্ত্র খাতের চাওয়া-পাওয়ার বিষয়ে অত্যন্ত আন্তরিক। এর আগে তাঁরা যা চেয়েছেন, তা পেয়েছেন। ফলে তাঁরা বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের প্রভাব থেকে ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছেন। এদিকে ঈদের লম্বা ছুটি তাঁদের আবারও বড় ধরনের সংকটে ফেলে দেবে |
পোশাক কারখানা খোলা-বন্ধ নিয়ে কাটছে না সংশয় | ছুটি সংক্ষিপ্ত করা না হলে পোশাক খাতের জন্য ভয়াবহ সংকট তৈরি হবে বলে তাঁদের আশঙ্কা।গতকাল চুয়াডাঙ্গায় জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের ‘লকডাউনে পোশাক কারখানা বন্ধ থাকবে’ এমন মন্তব্যকে ব্যক্তিগত অভিমত বলে মনে করেন উদ্যোক্তারা। এ বিষয়ে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে আলোচনা চলছে। উদ্যোক্তাদের আশা, আজ রবিবার সরকারি ছুটি শেষে ইতিবাচক বার্তা আসবে |
পোশাক কারখানা খোলা-বন্ধ নিয়ে কাটছে না সংশয় | উদ্যোক্তারা বলেন, সদ্যোবিদায়ি অর্থবছরে পোশাক রপ্তানিতে এ খাত ভালো করেছে। ভারত, ভিয়েতনাম ও মিয়ানমারের পোশাক ক্রেতাদের কিছু অংশ বাংলাদেশে আসছে এবং নতুন অর্ডার দিচ্ছে। এ সময় কারখানা দীর্ঘ মেয়াদে বন্ধ থাকলে শীত মৌসুমের কার্যাদেশ হারানোর আশঙ্কা রয়েছে। এ ছাড়া ডিসকাউন্টে (ছাড়ে) বা উড়োজাহাজে তাদের পণ্য পাঠাতে হতে পারে |
পোশাক কারখানা খোলা-বন্ধ নিয়ে কাটছে না সংশয় | এ জন্য তাঁদের বড় ধরনের সংকটে পড়তে হতে পারে বলে তাঁরা আশঙ্কা করছেন।জানতে চাইলে তৈরি পোশাক খাতের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএর সহসভাপতি মো. শাহীদউল্লা আজিম কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘ছুটি সংক্ষিপ্ত করা নিয়ে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে আলোচনা চলছে। এটা করা না হলে দেশের পোশাক খাত বড় ধরনের সংকটে পড়বে। আমাদের আশা, আজ রবিবার সরকারের কাছ থেকে একটা ইতিবাচক বার্তা পাওয়া যাবে |
পোশাক কারখানা খোলা-বন্ধ নিয়ে কাটছে না সংশয় | ’এর আগে গত বৃহস্পতিবার জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শেষে বিজিএমইএর সভাপতি মো. ফারুক হাসান গণমাধ্যমকর্মীদের বলেছিলেন, তাঁরা আশাবাদী, সরকার পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে কঠোর লকডাউনকালে আগের মতোই বস্ত্র ও পোশাক কারখানা খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেবে। কারণ শিল্প-কারখানা খোলা রাখা না হলে অর্থনীতিতে মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়বে এবং গতকাল একটি ইতিবাচক সিদ্ধান্ত পাওয়ার অপেক্ষায় ছিলেন তিনি।জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী গতকাল চুয়াডাঙ্গায় এক অনুষ্ঠানে গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, পবিত্র ঈদুল আজহার পর ২৩ জুলাই সকাল ৬টা থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত কঠোর লকডাউনে গার্মেন্টসহ সব ধরনের শিল্প-কারখানা বন্ধ থাকবে।বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, আগামী লকডাউনে পোশাক কারখানা বন্ধ থাকবে—এ তথ্য আন্তর্জাতিক মিডিয়াসহ বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রচারের কারণে ব্র্যান্ড এবং ক্রেতারা আবার রপ্তানি আদেশ কমিয়ে দিতে শুরু করেছেন। |
মহাসড়কে জট, ভোগান্তির শুরু ঢাকার সীমানায় | আর দুই দিন পরেই পবিত্র ঈদুল আজহা। ঈদ করতে রাজধানী ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়ি যাচ্ছে অনেকেই। গতকাল শনিবারও রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ বাস টার্মিনালগুলোতে যাত্রীর ভিড় ছিল। অন্যদিকে রাজধানীতে আসছে কোরবানির পশুবাহী ট্রাক |
মহাসড়কে জট, ভোগান্তির শুরু ঢাকার সীমানায় | ফলে ঢাকার সীমানাতেই সৃষ্টি হচ্ছে তীব্র যানজট। গতকালও বাড়িমুখো যাত্রীদের ভোগান্তির শুরুটা হয়েছে এখান থেকে, আর মহাসড়কে গিয়ে পড়েছে যানজটে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে গাজীপুরে এবং ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে তীব্র যানজটের কারণে যাত্রীদের নাকাল দশা।ভিড়ের মধ্যেও বরাবরের মতো স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত ছিল |
মহাসড়কে জট, ভোগান্তির শুরু ঢাকার সীমানায় | যাত্রীর পাশাপাশি রেলস্টেশনের অনেক কর্মচারীর মধ্যেও মাস্ক পরা নিয়ে উদাসীনতা লক্ষ করা গেছে। লঞ্চ ঘাটে মাইকিং ও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেও যাত্রীদের সচেতন করা যাচ্ছে না।ঢাকার সীমানায় যানজট : গাবতলী এলাকা ঘিরে আমিনবাজার থেকে কল্যাণপুর পর্যন্ত যানজট কমছেই না। এর রেশ পড়েছে মিরপুর ও আশপাশের এলাকাগুলোতে |
মহাসড়কে জট, ভোগান্তির শুরু ঢাকার সীমানায় | আবার মহাখালী থেকে বাসে ওঠা যাত্রীরা উত্তরা দিয়ে গাজীপুর যেতেই হাঁপিয়ে উঠেছে। প্রায় একই রকম ছবি সায়েদাবাদ, গুলিস্তান ও ফুলবাড়িয়ায়। এ ছাড়া সদরঘাট, কমলাপুরের ভিড়ের প্রভাবও ঢাকার সড়কে পড়ছে।এদিকে বাস টার্মিনালগুলোর মধ্যে মহাখালীতে গতকাল সকাল ৮টা পর্যন্ত যাত্রীর কিছুটা চাপ থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কমে যায় |
মহাসড়কে জট, ভোগান্তির শুরু ঢাকার সীমানায় | পোশাক কারখানা ছুটি না হওয়া পর্যন্ত দূরপাল্লার পরিবহনে চাপ বাড়বে না বলে মনে করছেন টার্মিনালসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।একেবারেই উল্টো চিত্র গাবতলী বাস টার্মিনালে। গাবতলী থেকে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল এবং উত্তরাঞ্চলের বেশ কয়েকটি জেলার বাস চলাচল করে। সেখানে যাত্রীর ব্যাপক চাপ ছিল |
মহাসড়কে জট, ভোগান্তির শুরু ঢাকার সীমানায় | দুটি রুটের বাসই সাভারের নবীনগর পর্যন্ত গিয়ে দুদিকে যায়। গাবতলী থেকে সাভার পর্যন্ত যানজট থাকায় ভোগান্তি ছিল যাত্রীদের।হানিফ পরিবহনের গাবতলী কাউন্টার ম্যানেজার আবু সালেহ বলেন, ‘গরুবাহী ট্রাকের দীর্ঘ সারি থাকায় যাত্রীবাহী বাস গাবতলীতে প্রবেশ করতে ও বের হতে বেশি সময় লাগছে। বরিশালগামী কান্তি পরিবহনের যাত্রী শান্তা পরিবার নিয়ে গৌরনদী যাচ্ছেন |
মহাসড়কে জট, ভোগান্তির শুরু ঢাকার সীমানায় | তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে বসে রয়েছি। বাস আসছে না। ’টার্মিনালের যাত্রীদের অপেক্ষার জন্য নির্ধারিত স্থানে উপচে পড়া ভিড় থাকলেও বেশির ভাগই মানছে না স্বাস্থ্যবিধি। যশোরগামী দ্রুতি পরিবহনের যাত্রী মোসলেমউদ্দিনের মুখে মাস্ক নেই |
মহাসড়কে জট, ভোগান্তির শুরু ঢাকার সীমানায় | কেন মাস্ক পরছেন না জানতে চাইলে রূঢ় ভাষায় তিনি বললেন, ‘মাস্ক পরব কি পরব না, এটা আমার ব্যক্তিগত বিষয়। ’ট্রেনে স্বাস্থ্যবিধি মানতে অবহেলা : প্ল্যাটফর্ম টিকিট না থাকায় যাত্রী ছাড়া স্টেশনের ভেতর অন্য কেউ প্রবেশ করতে পারছে না। রেলস্টেশন ও প্ল্যাটফর্মে স্বাস্থ্যবিধি মানার বালাই নেই। শুধু যাত্রী নয়, রেলের অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারীর মধ্যেও মাস্ক পরা নিয়ে উদাসীনতা দেখা গেছে |
মহাসড়কে জট, ভোগান্তির শুরু ঢাকার সীমানায় | স্টেশন-প্ল্যাটফর্মে প্রবেশ করার মুখে হাতে জীবাণুনাশক ব্যবহারের ব্যবস্থা থাকলেও অল্প কয়েকজন ছাড়া কেউ জীবাণুনাশক ব্যবহার করছে না। গতকাল সারা দিনে ঢাকা (কমলাপুর) থেকে ২৫ জোড়া আন্ত নগর ও ৯ জোড়া কমিউটার ট্রেন ছেড়ে যাওয়ার কথা। সকাল থেকে সব অন্ত জেলা ও কমিউটার ট্রেন সময়মতো ছেড়ে গেছে। মুখে মাস্ক না থাকা নিয়ে যাত্রীরা বলছে, ট্রেনের সবাই দূরে দূরেই বসে, তাই মাস্ক না পরেলেও হয় |
মহাসড়কে জট, ভোগান্তির শুরু ঢাকার সীমানায় | স্টেশন কর্তৃপক্ষ বলছে, রেলের কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘন করলে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।লঞ্চঘাটে উপচে পড়া ভিড় : ঢাকার সদরঘাটে লঞ্চযাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় ছিল। লঞ্চগুলোতে নির্ধারিত ভাড়ার অতিরিক্ত ও অতিরিক্ত যাত্রী নিতে দেখা গেছে। যাত্রীদের স্বাস্থ্যবিধি মানাতে বিআইডাব্লিউটিএর পক্ষ থেকে মাইকিং করলেও সেখানে চলছে ভয়ংকর অবস্থা |
মহাসড়কে জট, ভোগান্তির শুরু ঢাকার সীমানায় | মাস্ক পরা এবং সামাজিক দূরত্ব মানা দূরের কথা, লঞ্চ কর্তৃপক্ষকে প্রবেশপথে হাতে জীবাণুনাশক দিতেও দেখা যায়নি।বিআইডাব্লিউটিএর যুগ্ম পরিচালক ও ঢাকা নৌবন্দর কর্মকর্তা গুলজার হোসেন কালের কণ্ঠ বলেন, ‘যাত্রীরা স্বাস্থ্যবিধি মানছে কি না, নজরদারি করতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ১০ জনকে জরিমানা করা হয়েছে। ’গাজীপুর পার হতেই নাকাল : আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক, গাজীপুর জানান, বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের কাজের জন্য ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে টঙ্গীর তুরাগ সেতু থেকে হোসেন মার্কেট পর্যন্ত অংশ খানাখন্দে ভরা |
মহাসড়কে জট, ভোগান্তির শুরু ঢাকার সীমানায় | গতকাল ভোরে বৃষ্টি হওয়ায় কাদা-পানিতে আরো নাজুক হয়ে পড়ে মহাসড়ক। সকাল ৯টার দিকে যানজট ১৫ কিলোমিটার দূরের সালনা ছাড়িয়ে যায়। এর প্রভাবে ঢাকা-টঙ্গী-ঘোড়াশাল-সিলেট সড়কের মীরের বাজার থেকে টঙ্গী পর্যন্ত সাত কিলোমিটার, ঢাকা বাইপাস সড়কের কাঞ্চন সেতু থেকে গাজীপুরের নাওজোড় পর্যন্ত প্রায় ৩০ কিলোমিটার যানজট সৃষ্টি হয়। সাত-আট ঘণ্টা লেগে যায় এসব সড়ক অতিক্রম করতে |
মহাসড়কে জট, ভোগান্তির শুরু ঢাকার সীমানায় | গাজীপুর মহানগর ট্রাফিক বিভাগের উপকমিশনার আবদুল্লাহ আল-মামুন জানান, টঙ্গীতে ভাঙাচোরা সড়ক এবং পোশাক কারখানার শ্রমিকদের অবরোধের কারণে যানজটের সৃষ্টি হয়। অন্য সড়কগুলোতেও এর প্রভাব পড়ে।বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে ধীরগতি : টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর প্রতিনিধি জানান, ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে তীব্র চাপ ছিল, যে কারণে যানবাহন চলেছে ধীরগতিতে। বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার ওসি শফিকুল ইসলাম জানান, মাঝে মাঝেই সেতুর পূর্ব প্রান্তের টোল প্লাজা থেকে টাঙ্গাইলের রাবনা বাইপাস পর্যন্ত ২৩ কিলোমিটার অংশে যানজট হয়েছে |
মহাসড়কে জট, ভোগান্তির শুরু ঢাকার সীমানায় | মাঝে মাঝে জট ছাড়লেও গাড়ির গতি বাড়েনি। সেতুর পশ্চিম প্রান্তে সিরাজগঞ্জের নলকা এলাকার সরু সেতু দিয়ে যানবাহন স্বাভাবিকভাবে চলাচল করতে না পারায় ওই দিনের যানজট সেতুর পূর্ব টোল প্লাজা পর্যন্ত চলে এসেছিল।সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, গতকাল ভোর থেকেই মাঝেমধ্যে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম গোলচত্বর থেকে হাটিকুমরুল গোলচত্বর এলাকা পর্যন্ত প্রায় ২২ কিলোমিটার অংশে যানজট সৃষ্টি হয়। দীর্ঘ সময় আটকে থেকে দুর্ভোগে পড়ে যাত্রীরা |
মহাসড়কে জট, ভোগান্তির শুরু ঢাকার সীমানায় | সকালের দিকে মহাসড়কটির ঢাকা থেকে উত্তরবঙ্গগামী লেনে যানবাহনের চাপ বেশি থাকলেও বিকেল থেকে উত্তরবঙ্গ থেকে ঢাকাগামী যানবাহনের চাপ বেশি দেখা গেছে। এই লেনে যানবাহনের অতিরিক্ত চাপের কারণে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম টোল প্লাজা বেশ কিছুক্ষণ বন্ধ রাখা হয়। এর আগে শুক্রবার দিবাগত রাতেও যানবাহনের অতিরিক্ত চাপের কারণে সেতুর পূর্ব পারে টোল প্লাাজা বেশ কয়েকবার বন্ধ রাখা হয়।মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি জানান, মির্জাপুর উপজেলার গোড়াই শিল্পাঞ্চল এলাকায় মহাসড়কে থেমে থেমে যানজটের সৃষ্টি হয় |
মহাসড়কে জট, ভোগান্তির শুরু ঢাকার সীমানায় | গোড়াই এলাকায় ফ্লাইওভারের নির্মাণকাজ চলায় এক লেনে যানবাহন চলছে। চার লেনের যানবাহন ওই স্থানে এসে এক লেনে পড়ার কারণে যানজটের সৃষ্টি হয়। গোড়াই-সখীপুর সড়কের পশু ও পণ্যবাহী এবং যাত্রীবাহী যানবাহন মহাসড়কে ওঠার কারণেও স্বাভাবিক গতি থমকে যায় এবং মহাসড়কে থেমে থেমে যানজটের সৃষ্টি হয়।পদ্মায় তীব্র স্রোত, ফেরি পারাপার ব্যাহত : মাদারীপুরের শিবচর প্রতিনিধি জানান, পদ্মায় পানি বাড়ায় তীব্র স্রোতের সৃষ্টি হচ্ছে |
মহাসড়কে জট, ভোগান্তির শুরু ঢাকার সীমানায় | এতে মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া থেকে শিবচরের বাংলাবাজার নৌপথে ফেরি চলাচল ব্যাহত হয়। ফেরিগুলো প্রায় চার কিলোমিটার পথ ঘুরে আসায় পারাপারে দ্বিগুণ সময় লাগে। স্রোতের সঙ্গে পাল্লা দিতে না পারায় দুটি ডাম্ব ও একটি ছোট ফেরি বন্ধ করে দেওয়া হয়।এ ছাড়া গতকাল সকাল থেকেই বাংলাবাজার ঘাটে শত শত কোরবানির গরুবাহী ট্রাক আসতে শুরু করে |
মহাসড়কে জট, ভোগান্তির শুরু ঢাকার সীমানায় | এসব ট্রাক ঘণ্টার পর ঘণ্টা পারাপারের অপেক্ষায় ছিল। যদিও অগ্রাধিকার ভিত্তিতে গরুবাহী ট্রাক পারাপার করতে দেখা যায়। তবে ঢাকা থেকে ঘরমুখো মানুষের চাপ ছিল সহনীয়। সরকারি নির্দেশনা মেনে লঞ্চগুলো ধারণক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী পরিবহন করে |
মহাসড়কে জট, ভোগান্তির শুরু ঢাকার সীমানায় | মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, লৌহজংয়ের শিমুলিয়া ঘাটে গতকাল সকালের দিকে যাত্রীর কিছুটা চাপ থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কমে যায়। এপার থেকে প্রাইভেট কারসহ যাত্রীবাহী যানবাহন পারাপারে অগ্রাধিকার দেওয়ায় পণ্যবাহী ট্রাকের দীর্ঘ সারি তৈরি হয়।বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন সংস্থার (বিআইডাব্লিউটিসি) মাওয়া অফিসের এজিএম (মেরিন) আহমদ আলী জানান, ১৭টি ফেরির মধ্যে ১৪টি ফেরি চলাচল করছে। কয়েক দিন ধরে পদ্মায় অস্বাভাবিকভাবে পানি বাড়ছে। নৌ চ্যানেলের বেশ কয়েকটি স্থানে তীব্র স্রোত রয়েছে। |
প্রথম দিনেই জমে উঠেছে রাজধানীর পশুর হাট | আর মাত্র দুই দিন পর ঈদুল আজহা। এ উপলক্ষে গতকাল শনিবার প্রথম দিনেই জমে উঠেছে রাজধানীর মোহাম্মদপুর-বসিলা কোরবানির পশুর হাট। গতকাল পর্যন্ত এই হাটে কোরবানির পশু এসেছে সাত হাজারের বেশি। এর মধ্যে গরু প্রায় ছয় হাজার আর ছাগল এক হাজার |
প্রথম দিনেই জমে উঠেছে রাজধানীর পশুর হাট | এর বাইরে ওই হাটে উট, মহিষ ও ভেড়াও দেখা গেছে। প্রথম দিনে কোরবানির পশুর হাটে ক্রেতাসমাগম ছিল দেখার মতো। তবে গতকাল কোথাও জাল নোট, ছিনতাই কিংবা চুরির মতো কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। হাটে স্বাস্থ্যবিধি চরমভাবে উপেক্ষা করা হয়েছে |
প্রথম দিনেই জমে উঠেছে রাজধানীর পশুর হাট | গতকাল ছিল কোরবানির পশুর হাটের প্রথম দিন। শুরুর দিনেই বিপুল ক্রেতাসমাগমে জমে উঠেছে মোহাম্মদপুর-বসিলা পশুর হাট। গতকাল সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের এই হাট ঘুরে দেখা গেছে, বেলা যত গড়াচ্ছিল, তাল মিলিয়ে হাটে বাড়তে থাকে ক্রেতার ভিড়। শিশু ও বয়স্কদের হাটে নিয়ে আসা নিষেধ থাকলেও বেশির ভাগ ক্রেতা এসেছে সপরিবারে |
প্রথম দিনেই জমে উঠেছে রাজধানীর পশুর হাট | আর কিছুক্ষণ পরপরই হাটে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে নিয়ে আসা গরু ট্রাক থেকে নামানো হচ্ছিল। গরু ব্যবসায়ীদের হাটে প্রবেশ করার কথা জীবাণুনাশক টানেল দিয়ে। অথচ হাটের প্রবেশপথে দেখা যায়নি টানেল। তবে মাইকে বিরতিহীন ঘোষণা করা হচ্ছিল স্বাস্থ্য সচেতনতার বিভিন্ন দিক |
প্রথম দিনেই জমে উঠেছে রাজধানীর পশুর হাট | এসবে কাউকে কর্ণপাত করতে দেখা যায়নি।মোহাম্মদপুর-বসিলা পশুর হাটের ইজারাদার আমজাদ হোসেন কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমি দুটি জীবাণুনাশক টানেল এনে রেখেছি। এখন তো সবাই হাটে গরু নিয়ে ঢুকতেছে, তাই সেগুলো বসাইনি। একটু পরেই প্রবেশপথে জীবাণুনাশক টানেল বসানো হবে |
প্রথম দিনেই জমে উঠেছে রাজধানীর পশুর হাট | ’গতকাল এই হাটে দেশি জাতের ছোট আকারের গরু বিক্রি হতে দেখা গেছে ৫০ হাজার থেকে দেড় লাখ টাকা পর্যন্ত। তবে বিদেশি জাতের এবং দেশি-বিদেশি সংকর জাতের গরুর দাম আকারভেদে এক লাখ থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত চাইতে দেখা গেছে বিক্রেতাদের। বিক্রেতারা বলছেন, হাটে দেশি ছোট আকারের গরুর চাহিদা বেশি। আর গত বছরের চেয়ে এবার গরুর দামও বেশি |
প্রথম দিনেই জমে উঠেছে রাজধানীর পশুর হাট | এ বছর হাটে ছাগলের চাহিদাও তুলনামূলকভাবে বেশি। গতকাল প্রতিটি ছাগল বিক্রি হতে দেখা গেছে ১০ হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত। পাবনা থেকে ৫০০ ছাগল নিয়ে বসিলা হাটে এসেছেন ব্যবসায়ী মনির। এরই মধ্যে তাঁর ১০০ ছাগল বিক্রি হয়ে গেছে |
প্রথম দিনেই জমে উঠেছে রাজধানীর পশুর হাট | আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর তিনটি বুথ রয়েছে এই হাটে। বিচ্ছিন্নভাবে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যদের টহল দিতেও দেখা গেছে। তবে হাটে গতকাল কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছেন র্যাব ২-এর কর্মকর্তা তপন চন্দ্র রায়।উত্তরা-১৭ নম্বর সেক্টরে কোরবানির পশুর হাট : হাটে কোরবানির পর্যাপ্ত পশু থাকলেও প্রথম দিনে তেমন জমেনি উত্তরা-১৭ নম্বর সেক্টরের পশুর হাট |
প্রথম দিনেই জমে উঠেছে রাজধানীর পশুর হাট | প্রথম দিনে উল্লেখযোগ্য বিক্রিও হয়নি বলে জানান বিক্রেতারা। ক্রেতাও ছিল কম। গতকাল এই হাটে যেসব কোরবানির পশু বিক্রি হয়েছে সেগুলোর বেশির ভাগ ছিল আকারে ছোট ও মাঝারি। দিনভর ওই হাট ঘুরে অন্তত ২৫টি গরু বিক্রি হতে দেখা গেছে ৬০ থেকে ৮০ হাজার টাকার মধ্যে |
প্রথম দিনেই জমে উঠেছে রাজধানীর পশুর হাট | দু-একটি বিক্রি হয়েছে এক লাখ টাকার বেশি দামে।কোরবানির পশু বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রত্যাশিত বিক্রি এখনো শুরু হয়নি। যেগুলো বিক্রি হচ্ছে তার বেশির ভাগই ছোট আকারের। ব্যবসায়ীরা এবার পশুর দাম নিয়ে কিছুটা শঙ্কায় থাকলেও আশা করছেন আজ রবিবার থেকে সব ধরনের গরু বিক্রি বেড়ে যাবে |
প্রথম দিনেই জমে উঠেছে রাজধানীর পশুর হাট | হাট ঘুরে দেখা গেছে, ক্রেতা-বিক্রেতার বেশির ভাগের মুখে মাস্ক নেই। হাট কর্তৃপক্ষের ভলান্টিয়ার মাস্ক দিলেও প্রায় সবাই মুখে না লাগিয়ে থুতনিতে ঝুলিয়ে রাখছে।জানতে চাইলে আজমল নামের এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘কত আর মাস্ক পরন যায়! এই গরম এই বৃষ্টি! মাস্ক ময়লা হইয়া গেছে, তাই ফালাই দিছি। ভলান্টিয়ার আইলে দিবো, তখন আবার পরুম |
প্রথম দিনেই জমে উঠেছে রাজধানীর পশুর হাট | ’জামালপুরের মেলান্দহ থেকে ১৬টি গরু নিয়ে এই হাটে এসেছেন ব্যবসায়ী হযরত আলী। কালের কণ্ঠকে তিনি বলেন, ‘দুই দিন হলো হাটে এসেছি। এই সময়ে তিনটি গরু বিক্রি হয়েছে। এগুলো মাঝারি সাইজের |
প্রথম দিনেই জমে উঠেছে রাজধানীর পশুর হাট | আশা করছি, বড়গুলা রবিবার বা সোমবার থেকে বিক্রি করতে পারব। এখন যাঁরা আসছেন তাঁদের বেশির ভাগ দরদাম দেখতে আসছেন। ’ কোরবানির পশু কিনতে হাটে এসেছেন খিলক্ষেতের জুবায়ের আলী। কী ধরনের গরু কিনবেন, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এক লাখ টাকার কাছাকাছি দামে একটা গরু কিনব |
প্রথম দিনেই জমে উঠেছে রাজধানীর পশুর হাট | ঠিকঠাকমতো পেলে আজই (গতকাল) কিনব, না হলে পরে আবার আসতে হবে। ’তুরাগ এলাকা থেকে আসা ক্রেতা মহসিন মিয়া বলেন, ‘৬৫ হাজার টাকা দিয়া একটা ছোট ষাঁড় কিনছি। প্রথম দিনেই কিনলাম। পরে ভিড় বাড়বে |
প্রথম দিনেই জমে উঠেছে রাজধানীর পশুর হাট | ঝামেলা কমাতে আগেভাগেই কিনে রাখলাম। ’ হাটের ইজারাদার নূর হোসেন বলেন, প্রথম দিন ক্রেতারা তেমন আসেনি। ফলে বিক্রি কম। তবে কাল থেকে হাট জমে যাবে।এ বছর ঢাকার দুই সিটিতে মোট ২০টি কোরবানির পশুর হাট বসেছে। |
ফেসবুকে ভুয়া তথ্য মানুষকে হত্যা করছে | ফেসবুকের মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নভেল করোনাভাইরাস (কভিড-১৯) সংক্রান্ত ভুয়া তথ্য ‘মানুষকে হত্যা’ করছে বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। কভিড মহামারি ও টিকা নিয়ে মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর ক্ষেত্রে ‘ফেসবুকের মতো প্ল্যাটফর্মের’ ভূমিকা নিয়ে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি এই মন্তব্য করেন।বিবিসি জানায়, ভুল তথ্য ও গুজব ছড়ানো বন্ধ করতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সংশ্লিষ্ট কম্পানিগুলোকে সম্প্রতি ব্যাপক চাপের মধ্যে রেখেছে হোয়াইট হাউস। ফেসবুক বলেছে তারা জনস্বাস্থ্য রক্ষায় ‘আগ্রাসী পদক্ষেপ’ নিচ্ছে |
ফেসবুকে ভুয়া তথ্য মানুষকে হত্যা করছে | যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বাইডেন গত শুক্রবার হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের বলেন, ‘তারা মানুষ হত্যা করছে। যারা টিকা দেয়নি, শুধু তাদের মধ্যেই এখন মহামারি বিরাজমান। ’যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ সতর্ক করে বলেছে, দেশটিতে সম্প্রতি কভিড-১৯-এ মৃত্যু ও সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পাওয়ার প্রভাব দেখা গেছে শুধু টিকা দেয়নি এ রকম কমিউনিটিগুলোতে।হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি গত শুক্রবার বলেছেন, ফেসবুক ও অন্যান্য প্ল্যাটফর্ম গুজব মোকাবেলায় যথেষ্ট ভূমিকা রাখছে না |
ফেসবুকে ভুয়া তথ্য মানুষকে হত্যা করছে | তিনি বলেন, ‘অবশ্যই কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তবে এটাও পরিষ্কার যে আরো পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব। ’ফেসবুকের মুখপাত্র কেভিন ম্যাকঅ্যালিস্টার মন্তব্য করেছেন, তাঁদের প্রতিষ্ঠান প্রমাণ নেই, এমন অভিযোগের কারণে বিভ্রান্ত হবে না।ফেসবুক আলাদা একটি বিবৃতিতে বলেছে, ‘আমরা কভিডসংক্রান্ত এক কোটি ৮০ লাখ ভুয়া তথ্য এবং ক্রমাগত নিয়ম ভেঙেছে এমন বেশ কিছু অ্যাকাউন্ট অপসারণ করেছি |
ফেসবুকে ভুয়া তথ্য মানুষকে হত্যা করছে | ’বিবিসি জানায়, ‘কন্টেন্ট’ নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ফেসবুক সম্প্রতি ব্যাপক সমালোচনার শিকার হয়েছে। তবে মহামারি নিয়ে ভুয়া ‘কন্টেন্ট’ এখনো ব্যাপকভাবে লক্ষ করা যায় প্ল্যাটফর্মটিতে। গত মার্চ মাসে এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ফেসবুক, ইউটিউব, ইনস্টাগ্রাম ও টুইটারে ভ্যাকসিনবিরোধী অ্যাক্টিভিস্টদের প্রায় ছয় কোটি ফলোয়ার রয়েছে।যুক্তরাষ্ট্রে ৬৭.৯% প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি অন্তত এক ডোজ টিকা নিয়েছেন |
ফেসবুকে ভুয়া তথ্য মানুষকে হত্যা করছে | অন্তত ৫৯.২% প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি টিকার পূর্ণ ডোজ গ্রহণ করেছেন। তবে টিকা নেওয়ার জন্য যোগ্য যুক্তরাষ্ট্রে এমন অনেকেই টিকা নিতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছেন। টিকার ওপর তাঁদের ভরসা নেই বলে তাঁরা জানান। ফেসবুক, গুগল আর টুইটারের প্রধান নির্বাহীদের গত মার্চ মাসে যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসে ভুয়া তথ্যের বিষয়ে প্রশ্ন করা হয় |
ফেসবুকে ভুয়া তথ্য মানুষকে হত্যা করছে | টুইটারের প্রধান নির্বাহী জ্যাক ডরসি যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটরদের বলেন, ‘পোস্ট মডারেট’ করার বিষয়ে টুইটার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। গুগলের প্রধান নির্বাহী সুন্দর পিচাই জানান, ইউটিউব বিভ্রান্তিকর কন্টেন্ট সরিয়ে নিতে কাজ করছে। পাশাপাশি ভ্যাকসিনবিষয়ক তথ্য প্রচার করায়ও ভূমিকা রাখছে।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো গত নভেম্বর মাসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে জো বাইডেনের ছেলের বিব্রতকর ই-মেইল ফাঁসের সময় ‘সেন্সর’ করার অভিযোগ স্বীকার করার পরই এমন অভিযোগ উঠল। |
ঈদের আনন্দে রঙিন ১৭ লাখ পরিবার | ঈদ সামনে রেখে ১৭ লাখেরও বেশি পরিবারে এখন উপচানো আনন্দ। কারণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত প্রণোদনার ৪৩২ কোটি টাকা ছাড় করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। এতে বৃহস্পতিবার ১৭ লাখ ২০ হাজার ২১৪ জন শ্রমিক জনপ্রতি দুই হাজার ৫০০ টাকা করে পেয়ে গেছেন। বেশির ভাগ টাকা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে আর্থিক সেবায় (এমএফএস) এবং কিছু টাকা ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয়েছে |
End of preview. Expand
in Dataset Viewer.
- Downloads last month
- 34