title
stringlengths 7
102
| content
stringlengths 39
8k
|
---|---|
রবি-সোমবার খোলা থাকছে হাইকোর্টের ফাইলিং-এফিডেভিট শাখা | পবিত্র ঈদুল আযহা এবং অবকাশকালীন ছুটির মধ্যেই হাইকোর্ট বিভাগের ফাইলিং ও এফিডেভিট শাখা খোলা রাখা হয়েছে। আগামীকাল রবিবার ও পরদিন সোমবার এ দুটি শাখায় নিয়মিত কার্যক্রম পরিচালিত হবে। ১৯ জুলাই হাইকোর্ট বিভাগে ৩৬টি বেঞ্চ খোলা রাখায় ওই সকল আদালতে মামলা দাখিল করার সুবিধার্থে শাখা দুটি খোলা রাখা হয়েছে।এবিষয়ে শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. আলী আকবরের স্বাক্ষরে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে |
রবি-সোমবার খোলা থাকছে হাইকোর্টের ফাইলিং-এফিডেভিট শাখা | সরকারের জারি করা স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে প্রতিপালন করেই শাখা দুটিতে কার্যক্রম পরিচালনা করতে বলা হয়েছে।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘উপযুক্ত বিষয়ে নির্দেশিত হয়ে জানানো যাচ্ছে যে, আগামী ১৮ জুলাই রবিবার ও ১৯ জুলাই সোমবার সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের ফাইলিং শাখা এবং এফিডেভিট শাখার নিয়মিত কার্যক্রম পরিচালিত হবে। উক্ত কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার স্বার্থে কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ এবং সংশ্লিষ্ট সকলকে সরকারের জারি করা স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে প্রতিপালন করার নির্দেশ প্রদান করা হলো। ’চলমান লকডাউন পরিস্থিতি কিছুটা শিথিল করার প্রথম দিন গত ১৫ জুলাই বৃহষ্পতিবার হাইকোর্ট বিভাগে ৩৮টি বেঞ্চ বসে |
রবি-সোমবার খোলা থাকছে হাইকোর্টের ফাইলিং-এফিডেভিট শাখা | কিন্তু এরইমধ্যে ঈদুল আজহা ও অবকাশকালীন ছুটি চলে এসেছে। এ অবস্থায় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির পক্ষ থেকে চলতি সপ্তাহেও হাইকোর্ট বিভাগের ওই সব বেঞ্চ চালু রাখার আবেদন করা হয়। এ অবস্থায় প্রধান বিচারপতি আগামী ১৯ জুলাইয়ের জন্য হাইকোর্ট বিভাগের ৩৬টি বেঞ্চ গঠন করে দিয়েছেন। এর আগে অবকাশকালীন সময়ের জন্য মাত্র চারটি বেঞ্চ গঠন করেছিলেন প্রধান বিচারপতি। তবে আইনজীবীদের আবেদনে আগের সিদ্ধান্ত বাতিল করে ৩৬ বেঞ্চ গঠন করা হয়। |
ভারত গরু না দিলে আমরাও নিতে চাই না : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী | শিগগিরই সীমান্তে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত রক্ষীবাহিনীদের মারণাস্ত্রের ব্যবহার বন্ধ হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেছেন, দুই দেশের সীমান্তে যে কমিটমেন্ট রয়েছে তা মেনে চললে সীমান্তে হত্যা বন্ধ করতে পারব।তিনি বলেন, আমাদের খামারিরা এখন যথেষ্ট সমৃদ্ধ হয়েছে। ভারত গরু না দিলে আমরাও নিতে চাই না |
ভারত গরু না দিলে আমরাও নিতে চাই না : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী | তারপরও অতিলোভী দুই-একজন ব্যবসায়ী সীমান্তে সেগুলো করে এজন্যই সীমান্তে দুর্ঘটনাগুলো ঘটে।আজ শনিবার চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার বায়তুল ইজ্জতে বিজিবির ঐতিহ্যবাহী প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান বর্ডার গার্ড ট্রেনিং সেন্টার অ্যান্ড কলেজের (বিজিটিসিএন্ডসি) বীর উত্তম মজিবুর রহমান প্যারেড গ্রাউন্ডে নবীন সৈনিকদের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠান শেষে তিনি এসব কথা বলেন।স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দুই দেশের মধ্যে অনেক সময় সীমান্তে ভুল বোঝাবুঝির কারণে দুর্ঘটনা ঘটে যায়। এ কারণে দুই দেশের মন্ত্রী পর্যায়ে ও বিজিবি-বিএসএফ পর্যায়েও আলোচনা চলছে |
ভারত গরু না দিলে আমরাও নিতে চাই না : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী | তিনি আরো বলেন, সীমান্তে চোরাচালান বন্ধে আমরা আরো তৎপর হয়েছি। সীমান্তে শুধু বিওপির সংখ্যায়ই বাড়ানো হয়নি, আমরা বর্ডার সার্ভেইলেন্স সিস্টেম উন্নত করেছি। শুধু তাই নয়, মোটরযান বলুন আর আধুনিক প্রযুক্তি বলুন সবই আমরা সংগ্রহ করেছি এবং বিজিবিকে আরো সমৃদ্ধ করেছি।তিনি বলেন, আজ থেকে ১০-১৫ বছর আগে যে ধরনের চোরাচালান ছিল সেগুলো এখন আর নেই |
ভারত গরু না দিলে আমরাও নিতে চাই না : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী | সব ধরনের চোরাচালান আমরা শূন্যের কোঠায় নেওয়ার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। তবে এমনও কিছু বাড়ি আছে, যারা সীমান্তের খুব কাছাকাছি। সীমান্ত এলাকার ওই লোকজনের সঙ্গে আত্মিক সম্পর্ক থাকে এবং তাদের সবসময় ভারতে যাতায়াত রয়েছে। এ কারণেও অনেক সময় দুর্ঘটনা ঘটে বলেও জানান তিনি। |
খাদ্যের অভাবে একটি মানুষেরও ঈদ আনন্দ যাতে ম্লান না হয়: কৃষিমন্ত্রী | করোনাকালে অসহায়, গরীব-দু:স্থ, খেটে খাওয়া ও কর্মহীন মানুষকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেভাবে খাদ্য ও নগদ অর্থসহ মানবিক সহায়তা দিয়ে যাচ্ছেন তা সারা বিশ্বে এক অনন্য নজির বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী চান, এই দিনে কোনক্রমেই যাতে দেশের একটি মানুষকেও না খেয়ে থাকতে না হয়। খাদ্যের অভাবে একটি মানুষেরও ঈদ আনন্দ যাতে ম্লান না হয়। তাই, প্রধানমন্ত্রী প্রতিবছরের মতো এবারও ঈদের আগে অসহায় ব্যক্তি ও দুঃস্থ পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দিচ্ছেন |
খাদ্যের অভাবে একটি মানুষেরও ঈদ আনন্দ যাতে ম্লান না হয়: কৃষিমন্ত্রী | মন্ত্রী শনিবার তাঁর সরকারি বাসভবন থেকে ভার্চুয়ালি টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলার যদুনাথপুর ইউনিয়নে পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষ্যে ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় গরীব অসহায় ব্যক্তি, দুঃস্থ পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, করোনার সংক্রমণরোধে আরোপিত লকডাউনে শ্রমজীবী ও স্বল্প আয়ের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আয়ের পথ সংকুচিত হয়েছে। এছাড়া, অনেক মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনার শুরু থেকেই খাদ্য ও আর্থিক সহায়তা নিয়ে অব্যাহতভাবে এসব মানুষের পাশে আছেন |
খাদ্যের অভাবে একটি মানুষেরও ঈদ আনন্দ যাতে ম্লান না হয়: কৃষিমন্ত্রী | ড. রাজ্জাক আরও বলেন, দেশে খাদ্য নিয়ে কোনো হাহাকার নেই। তারপরও এই ঈদুল আযহাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১ কোটির বেশি পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দিচ্ছেন। ঈদ পরম আনন্দের ও খুশির দিন। প্রধানমন্ত্রী চান, এই দিনে কোনক্রমেই যাতে দেশের একটি মানুষকেও না খেয়ে থাকতে না হয় |
খাদ্যের অভাবে একটি মানুষেরও ঈদ আনন্দ যাতে ম্লান না হয়: কৃষিমন্ত্রী | খাদ্যের অভাবে একটি মানুষেরও ঈদ আনন্দ যাতে ম্লান না হয়। তাই, প্রধানমন্ত্রী প্রতিবছরের মতো এবারও ঈদের আগে অসহায় ব্যক্তি ও দুঃস্থ পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দিচ্ছেন। যদুনাথপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মীর ফিরোজ আহমেদের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে ধনবাড়ী উপজেলা চেয়ারম্যান হারুনার রশিদ হীরা, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: সামিউল হক, উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এর আগে মন্ত্রী টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলায় অসহায় ব্যক্তি, দু:স্থ পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হন। এসময় মধুপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামীমা ইয়াসমিন, পৌর মেয়র সিদ্দিক হোসেন খান, উপজেলা পরিষদের সদস্যবৃন্দ ও উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। |
২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত্যু দুই শতাধিক, শনাক্ত নামল ৮ হাজারে | গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরো ২০৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ১৭ হাজার ৬৬৯ জনের। এ ছাড়া নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন আট হাজার ৪৮৯ জন। সবমিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০ লাখ ৯২ হাজার ৪১১ জনে |
২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত্যু দুই শতাধিক, শনাক্ত নামল ৮ হাজারে | আজ শনিবার (১৭ জুলাই) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।এর আগে, শুক্রবার করোনায় আক্রান্ত হয়ে ১৮৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার মৃত্যু হয় ২২৬ জনের। বুধবার ২১০ জন মারা যান |
২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত্যু দুই শতাধিক, শনাক্ত নামল ৮ হাজারে | মঙ্গলবার ২০৩, সোমবার ২২০ ও রোববার রেকর্ড ২৩০ জন মারা যান। গত ৭ জুলাই প্রথমবারের মতো দেশে একদিন মৃতের সংখ্যা ২০০ ছাড়ায়। এদিন মৃত্যু হয় ২০১ জনের।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৮ হাজার ৮২০ জন |
২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত্যু দুই শতাধিক, শনাক্ত নামল ৮ হাজারে | এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৯ লাখ ২৩ হাজার ১৬৩ জন। ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ৩০ হাজার ১৫ জনের। পরীক্ষা করা হয়েছে ২৯ হাজার ২১৪টি। নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ২৯ দশমিক ০৬ শতাংশ |
২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত্যু দুই শতাধিক, শনাক্ত নামল ৮ হাজারে | দেশে এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৭২ লাখ ১৫ হাজার ৫৮১টি। মোট পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ১৪ শতাংশ।এতে আরো বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ঢাকা বিভাগেরই ৮২ জন। এ ছাড়া খুলনায় ৪৯, চট্টগ্রামে ৩২, রাজশাহীতে ২০, বরিশালে ৫, সিলেটে ২, রংপুরে ১০ এবং ময়মনসিংহে ৪ জন মারা গেছেন। |
রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশে আসতে পারেন আইসিসি প্রসিকিউটর | রোহিঙ্গা ইস্যুতে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) প্রধান প্রসিকিউটর করিম আসাদ আহমেদ খানের বাংলাদেশ সফরে আসার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।ইউরোপ সফররত তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ শুক্রবার নেদারল্যান্ডসের হেগে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে করিম খানের সাথে সাক্ষাৎকালে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানালে তিনি এ আগ্রহ ব্যক্ত করেন। তথ্যমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে এদিন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হয়।গত মাসে নয় বছরের জন্য প্রসিকিউটরের দায়িত্ব পালনের জন্য শপথ গ্রহণকারী ব্রিটিশ আইনজীবী করিম খান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদকে জানান যে, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের বিচার প্রতিষ্ঠার কাজের প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমর্থনের কথা তারা জানেন |
রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশে আসতে পারেন আইসিসি প্রসিকিউটর | এই আদালত প্রতিষ্ঠায় ১৯৯৭ সালে 'রোম চুক্তি' স্বাক্ষরে শেখ হাসিনার দৃঢ় ভূমিকার কথাও স্মরণ করেন করিম খান।করিম খান কিউসি প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুকে আশ্রয় দেয়াকে বঙ্গবন্ধুকন্যার মহানুভবতা হিসেবে উল্লেখ করেন এবং বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারের অপরাধের বিচারে তদন্ত অব্যাহত আছে।তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এসময় আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের রেজিস্ট্রার পিটার লুইসের সাথেও সাক্ষাত করেন।মন্ত্রী এরপর নেদারল্যান্ডসের যুবসমাজের জন্য নিবেদিত ডিজিটাল গণমাধ্যম আরএনডব্লিউ দপ্তর পরিদর্শনে গেলে সংস্থার পরিচালক সাসকিয়া ব্রাম ড. হাছান মাহমুদকে স্বাগত জানান |
রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশে আসতে পারেন আইসিসি প্রসিকিউটর | নেদারল্যান্ডসে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম রিয়াজ হামিদুল্লাহ মন্ত্রীর সাথে ছিলেন।এদিন ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় শেখ হাসিনাকে গ্রেফতারের দিন স্মরণে সর্বইউরোপীয় আওয়ামী লীগ আয়োজিত ওয়েবিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় দিনটিকে গণতন্ত্র অবরুদ্ধ দিবস হিসেবে বর্ণনা করেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।সর্বইউরোপীয় আওয়ামী লীগের সভাপতি এম নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমানের সঞ্চালনায় ইউরোপব্যাপী আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ সংযুক্ত ছিলেন।সপ্তাহব্যাপী ইউরোপ সফরশেষে রোববার ১৮ জুলাই মন্ত্রীর ঢাকা ফেরার কথা। |
‘বিজিবিকে ত্রিমাত্রিক বাহিনীতে উন্নীত করা হয়েছে’ | আজ (১৭ জুলাই ২০২১) বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর ৯৬তম রিক্রুট ব্যাচের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মোঃ শাহরিয়ার আলম প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ৯৬তম রিক্রুট ব্যাচের নবীন সৈনিকদের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও অভিবাদন গ্রহণ করেন। কুচকাওয়াজে বিজিবি সেক্টর কমান্ডার, রাজশাহী কর্ণেল মোঃ আনোয়ার লতিফ খান, বিপিএম (বার), পিএসসি বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।মহানন্দা নদীর তীরবর্তী মনমুগ্ধকর পরিবেশে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র তথা ৫৩ বিজিবি এর প্যারেড গ্রাউন্ডে সকাল ০৯.৫২ ঘটিকায় ৯৬তম ব্যাচ রিক্রুটদের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠান শুরু হয় |
‘বিজিবিকে ত্রিমাত্রিক বাহিনীতে উন্নীত করা হয়েছে’ | অনুষ্ঠানের শুরুতে বিজিবি সেক্টর কমান্ডারসহ আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ প্যারেড গ্রাউন্ডে উপস্থিত হলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ব্যাটালিয়ন এর অধিনায়ক তাদেরকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান।পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীকে সশস্ত্র সালাম প্রদানের মধ্য দিয়ে নবীন সৈনিকদের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়। চাঁপাইনবাবগঞ্জ অঞ্চলের সংসদ সদস্যগণ, ও বিজিবি'র উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, স্থানীয় অসামরিক প্রশাসন ও পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, জনপ্রতিনিধি, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত থেকে এ সমাপনী কুচকাওয়াজ উপভোগ করেন। প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ এর প্যারেড কমান্ডার হিসেবে মনোজ্ঞ এ প্যারেড পরিচালনা করেন ৯৬তম রিক্রুট ব্যাচের অফিসার ইনচার্জ মেজর মীর্জা মাঝহারুল ইসলাম এবং প্যারেড এ্যাডজুটেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন সহকারী পরিচালক মোঃ মাহফুজুর রহমান |
‘বিজিবিকে ত্রিমাত্রিক বাহিনীতে উন্নীত করা হয়েছে’ | চাঁপাইনবাবগঞ্জ ব্যাটালিয়ন (৫৩ বিজিবি) এ প্রশিক্ষণ নেয়া মোট ২৪৮ জন রিক্রুট প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করে। অত্র প্রশিক্ষণ ছাড়াও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর অন্যান্য আরও ০৮টি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ৯৬তম রিক্রুট ব্যাচের নবীন সৈনিকদের মৌলিক প্রশিক্ষণ সম্পন্ন হয়েছে।পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার হাতে গড়া এই বাহিনী আজ একটি সুসংগঠিত, চৌকস, সুশৃঙ্খল ও পেশাদার দেশপ্রেমি বাহিনীতে পরিণত হয়েছে। বিজিবি ‘সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী’ হিসেবে দেশের ৪,৪২৭ কি:মি: দীর্ঘ সীমান্ত সুরক্ষা, সীমান্ত ভূমি ও সম্পদের নিরাপত্তা বিধান, সীমান্তে চোরাচালান, নারী ও শিশু পাচার রোধসহ যেকোন ধরণের সীমান্ত অপরাধ দমন সর্বোপরি দেশের সার্বভৌমত্ব ও অখন্ডতা রক্ষার মহান দায়িত্ব অত্যন্ত দৃঢ়তা ও সফলতার সাথে পালন করে আসছে |
‘বিজিবিকে ত্রিমাত্রিক বাহিনীতে উন্নীত করা হয়েছে’ | এছাড়াও দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা রক্ষায় অসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা প্রদানসহ যেকোন দুর্যোগ মোকাবিলার ক্ষেত্রেও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিশ্বস্ততা ও সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করে সেবা ও কর্তব্য পরায়ণতার মাধ্যমে সমগ্র জাতির শ্রদ্ধা, ভালোবাসা ও আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ১৯৭৪ সালের ০৫ ডিসেম্বর তৎকালীন বিডিআর-এর ৩য় ব্যাচের সমাপনী কুচকাওয়াজে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান এর চোরাচালান বিরোধী ও প্রেষণামূলক মূল্যবান বক্তব্যের কথা স্মরণ করে চোরাচালান রোধে নবীন সৈনিকদেরকে পেশাগত দক্ষতা অর্জনসহ ব্যক্তিগতভাবে সুদৃঢ়, সুশৃঙ্খল, নির্লোভ ও নির্ভীক সর্বোপরি উন্নত চরিত্রের অধিকারী হওয়ার উপদেশ দেন।বিজিবি’র সার্বিক উন্নয়নে বর্তমান সরকারের বাস্তবায়িত বিভিন্ন কর্মকান্ডের কথা উল্লেখ করে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, “বিজিবিকে একটি অত্যাধুনিক ও আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন সীমান্তরক্ষী বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে বর্তমান সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বিজিবি’র সাংগঠনিক কাঠামোতে ব্যাপক পরিবর্তন এনে বিজিবিকে ইতোমধ্যে একটি ত্রিমাত্রিক বাহিনীতে উন্নীত করা হয়েছে |
‘বিজিবিকে ত্রিমাত্রিক বাহিনীতে উন্নীত করা হয়েছে’ | ‘স্মার্ট বর্ডার ম্যানেজমেন্ট’ এর অংশ হিসেবে সীমান্তে নতুন বিওপি, বিএসপি নির্মাণসহ অত্যাধুনিক সার্ভেইলেন্স ইকুইপমেন্ট সিস্টেম স্থাপন, এটিভি ও অত্যাধুনিক এপিসি, রায়ট কন্ট্রোল ভেহিক্যাল, ভেহিক্যাল স্ক্যানার ও দ্রুতগামী জলযান সংযোজন করা হয়েছে। এছাড়াও অতি সম্প্রতি এই বাহিনীতে অত্যাধুনিক এন্টি ট্যাংক গাইডেড উইপন সংযোজন করা হয়েছে। বিজিবি’র প্রশিক্ষণ কর্মকান্ডের কলেবর বৃদ্ধির বিষয়টি বিবেচনায় রেখে চুয়াডাঙ্গাতে নতুন একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নির্মাণের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।মোঃ শাহরিয়ার আলম প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠান শেষে ৯৬তম রিক্রুট ব্যাচের সেরা চৌকস রিক্রুট হিসেবে ১ম স্থান অধিকারী বক্ষ নম্বর ২৭৬৫ রিক্রুট (জিডি) মোঃ আব্দুল কাদের জিলানী এবং অন্যান্য বিষয়ে সেরা সৈনিকদের হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন। |
করোনা মোকাবেলায় সেন্টমার্টিনে নৌবাহিনীর ঈদ উপহার বিতরণ | করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় বাংলাদেশ নৌবাহিনীর পক্ষ থেকে সেন্টমার্টিন দ্বীপের স্থানীয় দুঃস্থ ও অসহায় পরিবারের মাঝে ঈদ উপহার সামগ্রী প্রদান করা হয়েছে।আজ শনিবার (১৭-০৭-২০২১) কমান্ডার বিএন ফ্লীট এর অধীনে নৌবাহিনী যুদ্ধজাহাজ বানৌজা স্বাধীনতা সেন্টমার্টিন দ্বীপের স্থানীয় দুঃস্থ ও অসহায় ৪০০ পরিবারের মাঝে ঈদের পোশাক ও খাদ্য সহায়তা প্রদান করে। এসময় ঈদ উপহার সামগ্রী হিসেবে শাড়ী, লুঙ্গি, পাঞ্জাবি এবং বাচ্চাদের পোশাক বিতরণ করা হয়। তাছাড়া খাদ্য সহায়তা হিসেবে প্রতিটি পরিবারকে সেমাই, চিনি ও গুড়া দুধ প্রদান করা হয়। দেশের এই সংকটময় পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রত্যন্ত এলাকার অসহায় ও দরিদ্র মানুষের সহায়তায় বাংলাদেশ নৌবাহিনী নিয়মিত এ কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে এবং পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে আইএসপিআর। |
স্বাস্থ্যবিধি না মানলে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া কঠিন হবে : মন্ত্রী | দেশের হাসপাতালগুলোতে করোনা রোগীদের জন্য নির্ধারিত শয্যা খালি নেই বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেছেন, এ কারণে সবাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চললে পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হতে পারে। পরে সামাল দেওয়া কঠিন হতে পারে।খুরশীদস ডিকোডিং সার্জারি’ নামের একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন ও প্রকাশনা অনুষ্ঠানে আজ শনিবার দুপুরে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন |
স্বাস্থ্যবিধি না মানলে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া কঠিন হবে : মন্ত্রী | তিনি বলেন, সামনে কোরবানির ঈদ। ধর্মীয় একটা বিষয় থাকে। জীবন-জীবিকার একটা বিষয় রয়েছে। সবকিছু বিবেচনা করেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা লকডাউন শিথিলের নির্দেশনা দিয়েছেন |
স্বাস্থ্যবিধি না মানলে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া কঠিন হবে : মন্ত্রী | আশা করি, ঈদের এই কয়েকটা দিন আমরা সবাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলব।স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির কারণে হাসপাতালের শয্যা প্রায় শেষ হয়ে আসছে। চিকিৎসা সেবা দিতে দিতে ডাক্তারও ক্লান্ত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় নতুন করে চার হাজার চিকিৎসক ও চার হাজার নার্স নিয়োগ হচ্ছে |
স্বাস্থ্যবিধি না মানলে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া কঠিন হবে : মন্ত্রী | আমরা যতই নিয়োগ দিই না কেন সংক্রমণের হার যদি তিন-চারগুণ বেড়ে যায়, ১০ থেকে ১৫ হাজার শয্যার পরিবর্তে ৪০ হাজার রোগী হয়। তখন সবাইকে চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হবে না। পরিস্থিতি ভয়াবহ হবে।তিনি আরো বলেন, অনেকেই আমাদের অনেকভাবে সমালোচনা করেন |
স্বাস্থ্যবিধি না মানলে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া কঠিন হবে : মন্ত্রী | কিন্তু চিকিৎসা সেবা দিচ্ছে হাসপাতাল। যারা সমালোচক তারা হাসপাতালে এসে চিকিৎসা দিচ্ছে না। সমালোচনা না করে কীভাবে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করা যায়, সংক্রমণের উৎপত্তিস্থল চিহ্নিত করে এটা নিয়ন্ত্রণে কাজ করা উচিত।ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও শিক্ষা সচিব আলী নূর, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডা. এ কে এম মোশাররফ হোসেনসহ বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজের সার্জনরা। |
'অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ালে বঙ্গবন্ধুর আত্মা শান্তি পাবে' | আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এবারের শোকের মাসের প্রধান কর্মসূচি হচ্ছে অসহায়, খেটে খাওয়া, দুঃস্থ মানুষের পাশে দাঁড়ানো। সীমিত পরিসরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঘরোয়া আলোচনা, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ, মসজিদ-মন্দির-গীর্জা-প্যাগোডায় প্রার্থনার মধ্য দিয়ে শোকের মাসের কর্মসূচি পালন করা হবে।আজ শনিবার তাঁর সরকারি বাসভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজীবন গণমানুষের রাজনীতি করেছেন |
'অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ালে বঙ্গবন্ধুর আত্মা শান্তি পাবে' | তাই শোকের এ মাসে সাহায্য সামগ্রী নিয়ে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ালে বঙ্গবন্ধুর আত্মা শান্তি পাবে। এজন্য দলের সকল পর্যায়ের নেতা কর্মীদের অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে।শতভাগ মাস্ক পরিধানসহ স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে কোনোরূপ শৈথিল্য না দেখাতে সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, গ্রামে গ্রামে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। অনেকে শহর থেকে ভাইরাস বহন করে গ্রামে নিয়ে যেতে পারেন এতে গ্রামের মানুষ আক্রান্ত হতে পারেন |
'অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ালে বঙ্গবন্ধুর আত্মা শান্তি পাবে' | এমতাবস্থায় সকলকে সচেতন থাকতে হবে এবং ভিড় এড়িয়ে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে হবে।সড়ক পরিবহন মন্ত্রী বলেন, দেশের অধিকাংশ মহাসড়কে নির্বিঘ্নে যানবাহন চলাচল করলেও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে টঙ্গী-গাজীপুর অংশে নির্মাণ কাজের কারণে সংকুচিত হওয়ায় যানবাহনের চাপ বেড়ে গেছে। উত্তরবঙ্গগামী পণ্যবাহী যানবাহন সমূহ আবদুল্লাহপুর-আশুলিয়া-বাইপাইল–চন্দ্রা হয়ে চলাচল করলে টঙ্গী-গাজীপুর অংশে যানবাহনের চাপ কমে যাবে বলে মনে করেন তিনি।তিনি বলেন, হালকা বর্ষণ ও মহাসড়কে ধীরগতির জন্য এবং কোরবানির পশুবাহি যানবাহনের কারণে কোথাও কোথাও চলাচলে ধীর গতি রয়েছে। এমতাবস্থায় মন্ত্রী হাইওয়ে পুলিশ, জেলা পুলিশ, জেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে দক্ষতার সাথে পরিবহন ও মহাসড়ক ব্যবস্থাপনার আহ্বান জানান। |
লঞ্চ-বাসে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত, আদায় করা হচ্ছে দ্বিগুণ ভাড়া | করোনা পরিস্থিতির অবনতির মুখে সরকার পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে কিছু শর্তসাপেক্ষে সবধরনের যানবাহন চলাচল উন্মুক্ত করে দিলেও নৌ ও সড়ক পথে স্বাস্থ্যবিধি একেবারেই মানা হচ্ছে না। এছাড়া লঞ্চ ও বাসসহ অন্যান্য যানবাহনে দ্বিগুণ ভাড়া আদায় করা হচ্ছে।পরিবেশ ও নাগরিক অধিকার সংরক্ষণবিষয়ক সংগঠন বেসরকারি সংগঠন গ্রিন কাব অব বাংলাদেশ (জিসিবি) এবং নৌ, সড়ক ও রেলপথ রা জাতীয় কমিটির যৌথ পর্যবেণ প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।আজ শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে |
লঞ্চ-বাসে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত, আদায় করা হচ্ছে দ্বিগুণ ভাড়া | প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৫ ও ১৬ জুলাই দুই দিন রাজধানী ঢাকার গাবতলী, মহাখালী, ফুলবাড়িয়া (গুলিস্তান), কমলাপুর টিটিপাড়া ও সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল, মালিবাগ ও কল্যাণপুরসহ বিভিন্ন স্থানের বাস কাউন্টার, কমলাপুর রেলস্টেশন, সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল এবং শিমুলিয়া ও পাটুরিয়া ফেরিঘাটে তারা পর্যবেক্ষণ চালিয়েছে। এতে দেখা গেছে, কমলাপুর রেলস্টেশন ছাড়া অন্য কোথাও স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না। ন্যুনতম শারীরিক দূরত্বও বজায় রাখা হচ্ছে না; এমনকি যাত্রীদের একটি বড় অংশ মাস্ক ব্যবহার কিংবা দীর্ঘ সময় পরপরও হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করছেন না। সব বাসেই আসন সংখ্যা পূর্ণ করে যাত্রী বহন করা হচ্ছে |
লঞ্চ-বাসে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত, আদায় করা হচ্ছে দ্বিগুণ ভাড়া | আর লঞ্চের ডেক ও ছাদে গাদাগাদি করে যাত্রী নেওয়া হচ্ছে।প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকার সংক্রমণ এড়াতে যাত্রীদের শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য পরিবহন মালিকদের ৬০ শতাংশ ভাড়া বৃদ্ধির সুযোগ দিয়ে এসব যানবাহনে নির্ধারিত আসন সংখ্যার অর্ধেক যাত্রী বহনের কঠিন শর্ত আরোপ করে। কিন্তু বাস এবং অধিকাংশ লঞ্চে ৬০ শতাংশের স্থলে ১০০ শতাংশ বেশি ভাড়া আদায় করছে। অন্যদিকে অর্ধেক যাত্রী বহনের শর্ত লঙ্ঘন করে সকল বাসে আসন সংখ্যার সমপরিমাণ এবং লঞ্চে দ্বিগুণেরও বেশি যাত্রী বহন করছে |
লঞ্চ-বাসে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত, আদায় করা হচ্ছে দ্বিগুণ ভাড়া | এছাড়া শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ও পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ছোট লঞ্চগুলোতে এবং ফেরিতে গাদাগাদি করে যাত্রী বহন করা হচ্ছে।এ প্রসঙ্গে গ্রিন কাব অব বাংলাদেশের (জিসিবি) সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার দে কালের কণ্ঠকে বলেন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সর্বত্র তৎপর রয়েছে। কিন্তু দীর্ঘদিনে লকডাউনের পর সব ধরনের যানবাহন চলাচল শুরু করায় ঈদকে সামনে রেখে মানুষ বাড়ি ছুটছে। এছাড়া স্বল্প সময়ে বিপুলসংখ্যক মানুষ পরিবহনে সক্ষমতা আমাদের দেশে নেই |
লঞ্চ-বাসে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত, আদায় করা হচ্ছে দ্বিগুণ ভাড়া | এসব কারণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া অত্যন্ত কষ্টকর। এছাড়া স্বাভাবিক সময়েও ঈদের আগে ঘরমুখী মানুষের কয়েকগুণ বেশি চাপ থাকে। তবে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধ এবং মাস্ক ও স্যানিটাইজার ব্যবহার নিশ্চিত করতে প্রশাসনকে কঠোর হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন তিনি। |
কিউবার বিরুদ্ধে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদী চক্রান্ত রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান | সমাজতান্ত্রিক কিউবার বিপ্লবী সরকার ও জনগণের সাথে সংহতি জানিয়ে তাদের বিরুদ্ধে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদী চক্রান্ত রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতৃবৃন্দ। তারা স্বাস্থ্য, শিক্ষাসহ মৌলিক মানবাধিকার রক্ষার রোল মডেল এবং মুক্তিযুদ্ধের সমর্থনকারী বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু কিউবার পাশে দাড়ানোর জন্য বিশ্ববাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।আজ শনিবার বিকেলে জাতীয় প্রেসকাবের সামনে অনুষ্ঠিত সংহতি সমাবেশ থেকে এই আহ্বান জানানো হয়। বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক ও বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বজলুর রশীদ ফিরোজের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তৃতা করেন সিপিবি’র সাধারণ সম্পাদক মো. শাহ আলম, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন নান্নু, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির আকবর খান, গণসংহতি আন্দোলনের বাচ্চু ভূইয়া, বাসদ (মার্কসবাদী) নেতা নাঈমা খালেদা মনিকা ও বাসদ নেতা খালেকুজ্জামান লিপন |
কিউবার বিরুদ্ধে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদী চক্রান্ত রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান | সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, ১৯৫৯ সালের সফল বিপ্লবের পর গত ৬০ বছরে কিউবা গোটা দুনিয়ার সামনে স্বাস্থ্য, শিাসহ মৌলিক মানবাধিকার রার একটা রোল মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। গত ৬০ বছর ধরে প্রতিবিপ্লবের মাধ্যমে সমাজতান্ত্রিক কিউবাকে ধ্বংস করার জন্য ও তাদের নেতা কমরেড ফিদেল ক্যাস্ট্রোকে হত্যার জন্য ৬৩৮ বার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে। তারা বলেন, গত ৬০ বছর ধরে অন্যায় অবরোধ জারি রেখে চরম অর্থনৈতিক সংকটেও সমাজতন্ত্রের বিরুদ্ধে পুঁজিবাদী অভিমুখী করতে পারেনি কিউবানদেরকে। কিউবার বিপ্লবী জনগণ সমাজতন্ত্রের হীরা ফেলে পুঁজিবাদের কাঁচ হাতে তুলে নিয়ে ভিখিরি হতে চায়নি |
কিউবার বিরুদ্ধে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদী চক্রান্ত রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান | মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মাত্র ৯০ মাইল দূরে সাম্রাজ্যবাদের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে সমাজতান্ত্রিক কিউবা মাথা উচু করে দাঁড়িয়ে আছে।নেতৃবৃন্দ বলেন, কিউবা সরকার করোনা মহামারীতে নিজের দেশের মানুষের পাশে দাঁড়ানোর পাশাপাশি অন্য কেউ সাড়া না দিলেও ইতালী, ফ্রান্সসহ ২৭টি দেশে ডাক্তার, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী পাঠিয়ে বিশ্ব মানবতাকে রক্ষা করেছে। ভ্যাকসিন বাণিজ্যের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে ৫টি টিকা আবিষ্কার করেছে। কিউবার সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থা কিউবার জনগণের পূর্ণ সমর্থন ও সহযোগিতা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। মার্কিন সাম্রাজ্যবাদসহ কোনো বহিঃশক্তি কিউবাকে ধ্বংস করতে পারবে না বলেও বক্তাগণ আশা ব্যক্ত করেন। |
কেরানীগঞ্জে গরুর অবৈধ হাট, নেপথ্যে কিছু আ.লীগ নেতা! | পশুর পাইকারদের ট্রাক থেকে জোর করে নামানো হচ্ছে পশু। পশু নামাতে না চাইলে স্থানীয় ক্যাডারবাহিনীর সদস্যরা লাঠি দিয়ে পশুর গাড়িতে এলোপাতারি আঘাত করছে। ভয়ে বাধ্য হয়ে পাইকাররা অবৈধ এ হাটে পশু নিতে বাধ্য হচ্ছেন। কুরবানির ঈদ সামনে রেখে রাজধানীর কেরানীগঞ্জের মিলেনিয়াম সিটিতে (মধুসিটির উল্টো পাশে) এভাবেই চালানো হচ্ছে পশুর হাট |
কেরানীগঞ্জে গরুর অবৈধ হাট, নেপথ্যে কিছু আ.লীগ নেতা! | হাটের জন্য প্রশাসন বা সরকারি কোনো কর্তৃপক্ষ থেকে নেওয়া হয়নি কোনো অনুমোদন।স্থানীয়রা বলছেন, গত বুধবার থেকে প্রকাশ্যেই চলছে হাট-সন্ত্রাস! পাশ দিয়ে বসিলা হয়ে যেসব পশুবাহী ট্রাক মোহাম্মদপুর ও গাবতলী হাটে যাচ্ছে; জোর করে এগুলো থামিয়ে পশু নেওয়া হচ্ছে এ হাটে। শুধু তাই নয়, এক থেকে দেড়’শ মোটরসাইকেল নিয়ে আশেপাশের এলাকায় টহল দিচ্ছেন হাটের কাজে নিয়েজিত স্থানীয় ছাত্রলীগ ও যুবলীগের স্বেচ্ছাসেবকরা।এ হাটে আসা পশুর এক বিক্রেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘আমার গরুর মূল্য আনুমানিক সাড়ে ৬ লাখ টাকা |
কেরানীগঞ্জে গরুর অবৈধ হাট, নেপথ্যে কিছু আ.লীগ নেতা! | আমি মূলত গরুটি নিয়ে যেতে চেয়েছি গাবতলী হাটে। হাটের সামন দিয়ে ট্রাক নিয়ে যেতে এখানে আমাকে গরু নামাতে বাধ্য করেছে। দুই দিন ধরে দেখছি, এত বড় গরু ক্রয় করার মতো ক্রেতা এখানে নেই। আমি তাদেরকে (অবৈধ এ হাট কর্তৃপক্ষ) ৩ হাজার টাকাও দিতে চেয়েছি, যাতে আমাকে এখান থেকে গরুসহ ছেড়ে দেওয়া হয় |
কেরানীগঞ্জে গরুর অবৈধ হাট, নেপথ্যে কিছু আ.লীগ নেতা! | তারা বলছে, গরুটি বিক্রি হলে ৩৫ হাজার টাকা তারা হাসিল পাবে। এ কারণে তারা আমাকে যেতে দিচ্ছে না। জানিনা আমার কপালে কি আছে’।হাটটির অনুমোদন আছে কি না এ বিষয়ে কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অমিত দেব নাথ কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘না, কোন অনুমোদন নেই |
কেরানীগঞ্জে গরুর অবৈধ হাট, নেপথ্যে কিছু আ.লীগ নেতা! | যতদূর জেনেছি স্থানীয় কিছু লোকজন জোর করে হাট পরিচালনা করছে। হাটটি অবৈধ, তাই উচ্ছেদ করে দেওয়া হবে। আমি স্থানীয় ওসি সাহেবের সঙ্গে কথা বলেছি। আমরা দ্রুতই ব্যবস্থা নিব’ |
কেরানীগঞ্জে গরুর অবৈধ হাট, নেপথ্যে কিছু আ.লীগ নেতা! | এলাকাবাসীর অভিযোগ, উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর লাগোয়া এই অনুমোদনহীন এ হাটের আয়োজন করেছেন কেরানীগঞ্জ মডেল উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আলতাফ হোসেন বিপ্লব। এর সঙ্গে যুক্ত আছেন, থানা আওয়ামী লীগের সদস্য আবু বকর সিদ্দিক, তারানগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আজিজুর রহমান খানসহ অনেকে।এ বিষয়ে কেরানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদ কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘মিলেনিয়াম সিটিতে পশুর যে হাট স্থাপন করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ অবৈধ। সম্পূর্ণ গায়ের জোরে স্থানীয় কিছু লোক হাটের আয়োজন করেছে |
কেরানীগঞ্জে গরুর অবৈধ হাট, নেপথ্যে কিছু আ.লীগ নেতা! | আমরা এ হাট বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছি’।একই তথ্য দিয়ে তারানগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন ফারুক কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘স্থানীয় কিছু আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী গায়ের জোরে এটি করেছে। অবৈধভাবে প্রকাশ্যে রাস্তার ওপর তোরণ স্থাপন করে এমন হাট বসানোর ঘটনা বিরল। কেউ গরু হাটে তুলতে না চাইলেও ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ট্রাক থেকে পশু নামানো হচ্ছে, এটি অন্যায়’।হাটে হাসিল গ্রহণের কাজে নিয়োজিত একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শতকরা ৫ শতাংশ হারে পশুর বিক্রয় মূল্যের ওপর হাসিল নেওয়া হয় এখানে। হাসিলে কিছুটা কম রাখা হবে কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে তারা বলেন, ‘পশু ক্রয় করেন কিছুটা কনসিডার করা হবে’। |
'এবারের লকডাউনে গার্মেন্ট-শিল্প কারখানাও বন্ধ থাকবে' | পবিত্র ঈদুল আজহার পর আগামী ২৩ জুলাই সকাল ছয়টা থেকে আগামী ৫ আগস্ট পর্যন্ত কঠোর লকডাউনে গার্মেন্টসসহ সকল ধরনের শিল্প-কারখানা বন্ধ রাখার নির্দেশনা দিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।আজ শনিবার (১৭ জুলাই) সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ নির্দেশনার কথা জানান।তিনি বলেন, দেশের অর্থনীতির কথা চিন্তা করে লকডাউন শিথিল করা হয়েছে। ঈদের পর ২৩ জুলাই থেকে আবারও কঠোর লকডাউন শুরু হবে |
'এবারের লকডাউনে গার্মেন্ট-শিল্প কারখানাও বন্ধ থাকবে' | কয়েক দিন আগে লকডাউনসংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।তিনি আরো বলেন, কোরবানি ঘিরে আমাদের বিশাল অর্থনীতি রয়েছে। অনেকে গরু প্রতিপালন করেছে। সবকিছু বিবেচনা করে চলাফেরার ওপর বিধিনিষেধ শিথিল করতে হয়েছে |
'এবারের লকডাউনে গার্মেন্ট-শিল্প কারখানাও বন্ধ থাকবে' | তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। যতদিন ভ্যাকসিন দেয়া না হয় ততোদিন মাস্ক ব্যবহার করতে হবে।বিজিবির ৯৬তম রিক্রুট ব্যাচের সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য সোলায়মান হক জোয়ার্দার ছেলুন, জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার, পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম, চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবির পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ খালেকুজ্জামানসহ আরও অনেকে।লকডাউন শিথিল করার সাথেই ২৩ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট ১৪ দিনের জন্য কঠোর লকডাউন ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ |
'এবারের লকডাউনে গার্মেন্ট-শিল্প কারখানাও বন্ধ থাকবে' | এ লকডাউনে গণপরিবহন, দোকানপাট, শপিংমল, সরকারি-বেসরকারি অফিস বন্ধ রাখার পাশাপাশি গার্মেন্টসসহ সব ধরনের শিল্প-কারখানা বন্ধ রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়।তবে গামেন্টসসহ শিল্প-কারাখানা বন্ধের ঘোষণাটি প্রত্যাহার করার জন্য আবেদন জানিয়েছেন শিল্প কারখানার মালিকরা। আজ শনিবার এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানোর কথা ছিল। শেষ পর্যন্ত করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে শিল্প-কারখানা বন্ধ রাখার ঘোষণা বহাল রাখা হলো। |
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে রাশিয়ার সহযোগিতা চাইলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী | পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর কর্তৃক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশ থেকে তাদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসন ও পুনর্মিলনের স্বার্থে রাশিয়ার সক্রিয় ও ফলপ্রসূ সহযোগিতা চেয়েছেন।পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শুক্রবার তাসখন্দে অনুষ্ঠিত ‘মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়া :-আঞ্চলিক যোগাযোগ, চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের ফাঁকে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভের সঙ্গে দ্বি-পাক্ষিক বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।বৈঠকে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আশ্বাস দেন, মস্কো রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে বাংলাদেশের সাথে আলোচনা অব্যাহত রাখতে মিয়ানমারকে উৎসাহিত করবে।ড. মোমেন কভিড-১৯ ভ্যাকসিন সম্পর্কে বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতির একটি বিবরণ তুলে ধরেন এবং বাংলাদেশের সব কঠিন সময়ে পাশে দাঁড়ানোর জন্য রাশিয়াকে ধন্যবাদ জানান |
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে রাশিয়ার সহযোগিতা চাইলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী | বিশেষ করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে প্রত্যক্ষ সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ২০২৩ ও ২০২৪ সালে বাংলাদেশে দুটি পারমাণবিক প্রকল্প সম্পন্ন করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন। বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যে বিদ্যমান পারস্পরিক সহযোগিতা নিয়ে দুই মন্ত্রী সন্তোষ প্রকাশ করেন।জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের সময় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের পাঠানো প্রশংসনীয় বার্তার জন্য বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান। |
বাংলাদেশকে আরো ৩০ লাখ ডোজ টিকা উপহার দেবে যুক্তরাষ্ট্র | যুক্তরাষ্ট্র কোভ্যাক্স কাঠামোর অধীনে উপহার হিসেবে বাংলাদেশকে আরো ৩০ লাখ ডোজ মর্ডানার ভ্যাকসিন দেবে। আজ শনিবার (১৭ জুলাই) টুইটারে তিনি এই ঘোষণা দেন।টুইটে তিনি বলেন, কোভ্যাক্সের মাধ্যমে আমেরিকার জনগণের পক্ষ থেকে বাংলাদেশে আসা মডেরনার কভিড-১৯ ভ্যাকসিনের ৩০ লাখ ডোজের আরেকটি উপহার ঘোষণা করতে পেরে আমি আনন্দিত। আমেরিকা এখানে এবং বিশ্বব্যাপী মহামারিকে পরাজিত করতে তার দেশের ভ্যাকসিন সরবরাহ বাড়াতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ |
বাংলাদেশকে আরো ৩০ লাখ ডোজ টিকা উপহার দেবে যুক্তরাষ্ট্র | এই মর্ডনার ভ্যাকসিন ডোজ এশিয়ার দেশগুলোর জন্য মার্কিন সরকারের সাম্প্রতিক ২৫ মিলিয়ন ভ্যাকসিন ডোজ বরাদ্দের অংশ কারণ প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন কোভ্যাক্স বা সরাসরি বিশ্বের অন্যান্য দেশের সাথে মার্কিন জ্যাবের ডোজ ভাগ করে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।মহামারি রোধে দরিদ্র দেশগুলোতে ভ্যাকসিন সরবরাহে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অধীনে সরাসরি ভ্যাকসিন এলায়েন্স গ্যাভি’র উদ্যেগে কোভ্যাক্স প্রেগ্রামের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী ভ্যাকসিন সরবরাহ করা হচ্ছে। কোভ্যাক্সের অধীনে যুক্তরাষ্ট্র থেকে উপহার হিসেবে ২ ও ৩ জুলাই বাংলাদেশে মর্ডানার ২৫ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন সরবরাহ করেছে।বাংলাদেশের কাছে ভ্যাকসিন হস্তান্তরের সময় রাষ্ট্রদূত মিলার বলেছিলেন, বাংলাদেশে ‘নিরাপদ’ এবং ‘কার্যকর’ কভিড ভ্যাকসিন সরবরাহের জরুরি প্রয়োজনীয়তা যুক্তরাষ্ট্র বুঝতে পেরেছে। |
ঈদের পর লকডাউন কঠোর থেকে কঠোরতর হবে | জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জানিয়েছেন, ঈদের পর যে লকডাউন আসছে তা কঠোর থেকে কঠোরতর হবে। ২৩ জুলাই থেকে কঠোর লকডাউনের আওতায় আসবে গোটা দেশ। সে সময় বন্ধ থাকবে গার্মেন্ট, শিল্প-কলকারখানাসহ সরকারি-বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠান।আজ শনিবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবির সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত বিজিবির ৯৬তম রিক্রুট ব্যাচের সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন |
ঈদের পর লকডাউন কঠোর থেকে কঠোরতর হবে | দেশের লকডাউন শিথিল প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের অর্থনীতির কথা চিন্তা করে পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে লকডাউন শিথিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কোরবানিকে ঘিরে আমাদের একটি বিশাল অর্থনীতি রয়েছে। অনেকে গরু প্রতিপালন করেছে। সব কিছু বিবেচনা করে বিধি-নিষেধ শিথিল করতে হয়েছে |
ঈদের পর লকডাউন কঠোর থেকে কঠোরতর হবে | তবে আমাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।তিনি বলেন, দেশের অর্থনীতির কথা চিন্তা করে লকডাউন শিথিল করা হয়েছে। ঈদের পর ২৩ জুলাই থেকে আবারও কঠোর লকডাউন শুরু হবে। কয়েক দিন আগে লকডাউনসংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।বিজিবির ৯৬তম রিক্রুট ব্যাচের সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য সোলায়মান হক জোয়ার্দার ছেলুন, জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার, পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম, চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবির পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ খালেকুজ্জামানসহ আরো অনেকে। |
প্রথম ধাপে ২৩ বাসে ক্যাম্পাস ছাড়ল দেড় হাজার জবি শিক্ষার্থী | ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে করোনা পরিস্থিতিতে প্রথম ধাপে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব পরিবহন ও বিআরটিসির ভাড়া করাসহ মোট ২৩টি বাসে এক হাজার ৫০৭ জন শিক্ষার্থীর বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।শনিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস থেকে শিক্ষার্থীদের নিয়ে রাজশাহী, রংপুর, সিলেট বিভাগের বিভিন্ন জেলার উদ্দেশে ছেড়ে গেছে বাসগুলো।জানা যায়, করোনার কারণে ঢাকায় আটকে থাকা শিক্ষার্থীরা বাড়ি ফিরতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দেশের বিভিন্ন জেলায় শিক্ষার্থীদের পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করে |
প্রথম ধাপে ২৩ বাসে ক্যাম্পাস ছাড়ল দেড় হাজার জবি শিক্ষার্থী | তার ধারাবাহিকতায় আজকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব পরিবহন ও বিআরটিসির ভাড়া বাসসহ মোট ২৮টি গাড়িতে রাজশাহী, রংপুর, সিলেট বিভাগের শিক্ষার্থীদের বাড়িতে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। আগামী রবিবার বরিশাল, খুলনা বিভাগ এবং সোমবার চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ বিভাগের শিক্ষার্থীদের বাড়িতে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে।এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. ইমদাদুল হক বলেন, 'আমাদের বাস দেওয়ার কথা না। তবুও শিক্ষার্থীদের স্বার্থে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষ বিবেচনায় বাস দেওয়া হয়েছে। ' |
বিজিবিতে এন্টি গাইডেড উইপন সংযোজন করা হয়েছে | বিজিবিতে এন্টি গাইডেড উইপন সংযোজন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। আজ শনিবার বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর ৯৬তম রিক্রুট ব্যাচের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।আজ (১৭ জুলাই ২০২১) বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর ৯৬তম রিক্রুট ব্যাচের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ৯৬তম রিক্রুট ব্যাচের নবীন সৈনিকদের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও অভিবাদন গ্রহণ করেন |
বিজিবিতে এন্টি গাইডেড উইপন সংযোজন করা হয়েছে | অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দীন ও বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোঃ সাফিনুল ইসলাম, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার বায়তুল ইজ্জতে অবস্থিত বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর ঐতিহ্যবাহী প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান বর্ডার গার্ড ট্রেনিং সেন্টার এন্ড কলেজ (বিজিটিসিএন্ডসি) এর বীর উত্তম মজিবুর রহমান প্যারেড গ্রাউন্ডে সকাল ০৯.৫২ ঘটিকায় নবীন সৈনিকদের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে বিজিবি মহাপরিচালকসহ আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ প্যারেড গ্রাউন্ডে উপস্থিত হলে বর্ডার গার্ড ট্রেনিং সেন্টার এন্ড কলেজ (বিজিটিসিএন্ডসি) এর কমান্ড্যান্ট তাদেরকে অভ্যর্থনা জানান। সকাল সাড়ে ১০ টায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে সশস্ত্র সালাম প্রদানের মধ্য দিয়ে নবীন সৈনিকদের শপথ গ্রহণ ও প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় |
বিজিবিতে এন্টি গাইডেড উইপন সংযোজন করা হয়েছে | চট্টগ্রাম/কক্সবাজার অঞ্চলের মন্ত্রী, সংসদ সদস্যগণ, সেনাবাহিনী ও বিজিবি'র উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, স্থানীয় অসামরিক প্রশাসন ও পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, জনপ্রতিনিধি, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত থেকে এ সমাপনী কুচকাওয়াজ উপভোগ করেন। প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজের প্যারেড কমান্ডার হিসেবে মনোজ্ঞ এ প্যারেড পরিচালনা করেন ৯৬তম রিক্রুট ব্যাচের অফিসার ইনচার্জ মেজর মোঃ শাহরিয়ার ইফতেখার এবং প্যারেড এ্যাডজুটেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ ইমরান হোসেন।উল্লেখ্য, ৯৬তম রিক্রুট ব্যাচের মৌলিক প্রশিক্ষণ গত ৩১ জানুয়ারি শুরু হয়। বিজিটিসিএন্ডসিতে প্রশিক্ষণ নেয়া মোট ৭৮৪ জন রিক্রুট এর মধ্যে ৬৫৬ জন পুরুষ এবং ১২৮ জন নারী রিক্রুট প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করে |
বিজিবিতে এন্টি গাইডেড উইপন সংযোজন করা হয়েছে | বিজিটিসিএন্ডসি ছাড়াও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর অন্যান্য আরও ০৮টি প্রশিক্ষণ ভেন্যুতে ৯৬তম রিক্রুট ব্যাচের নবীন সৈনিকদের মৌলিক প্রশিক্ষণ সম্পন্ন হয়েছে। দীর্ঘ ২৪ সপ্তাহের অত্যন্ত কঠোর ও কষ্টসাধ্য এ প্রশিক্ষণ সফলভাবে শেষ করে আজ আনুষ্ঠানিক শপথ গ্রহণ ও সমাপনী কুচকাওয়াজের মাধ্যমে তাদের সৈনিক জীবনের শুভ সূচনা হলো।৯৬তম রিক্রুট ব্যাচের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজে অভিবাদন গ্রহণ শেষে মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নবীন সৈনিকদের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন উপদেশ ও দিক-নির্দেশনামূলক ভাষণ প্রদান করেন। ভাষণের শুরুতে তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন |
বিজিবিতে এন্টি গাইডেড উইপন সংযোজন করা হয়েছে | একইসাথে তিনি মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে জীবন উৎর্গকারী বিজিবি’র ৮১৭ জন অকুতোভয় বীর বিশেষ করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ এর শহীদ বীরশ্রেষ্ঠ ল্যান্স নায়েক মুন্সী আব্দুর রউফ, শহীদ বীরশ্রেষ্ঠ ল্যান্স নায়েক নুর মোহাম্মদ শেখ এবং মুক্তিযুদ্ধে অনন্য অবদানের জন্য এ বাহিনীর ০৮ জন বীরউত্তম, ৩২ জন বীরবিক্রম এবং ৭৭ জন বীরপ্রতীক খেতাবে ভূষিত বীরদেরও শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন। তিনি বলেন, জাতির পিতার হাতে গড়া এই বাহিনী আজ একটি সুসংগঠিত, চৌকস, সুশৃঙ্খল ও পেশাদার দেশপ্রেমিক বাহিনীতে পরিণত হয়েছে। বিজিবি ‘সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী’ হিসেবে দেশের ৪,৪২৭ কি:মি: দীর্ঘ সীমান্ত সুরক্ষা, সীমান্ত ভূমি ও সম্পদের নিরাপত্তা বিধান, সীমান্তে চোরাচালান, নারী ও শিশু পাচার রোধসহ যেকোন ধরণের সীমান্ত অপরাধ দমন সর্বোপরি দেশের সার্বভৌমত্ব ও অখন্ডতা রক্ষার মহান দায়িত্ব অত্যন্ত দৃঢ়তা ও সফলতার সাথে পালন করে আসছে। এছাড়াও দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা রক্ষায় অসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা প্রদানসহ যেকোন দুর্যোগ মোকাবিলার ক্ষেত্রেও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিশ্বস্ততা ও সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করে সেবা ও কর্তব্য পরায়ণতার মাধ্যমে সমগ্র জাতির শ্রদ্ধা, ভালোবাসা ও আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে |
বিজিবিতে এন্টি গাইডেড উইপন সংযোজন করা হয়েছে | স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ১৯৭৪ সালের ৫ ডিসেম্বর তৎকালীন বিডিআর-এর ৩য় ব্যাচের সমাপনী কুচকাওয়াজে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের চোরাচালান বিরোধী ও প্রেষণামূলক মূল্যবান বক্তব্যের কথা স্মরণ করে চোরাচালান রোধে নবীন সৈনিকদেরকে পেশাগত দক্ষতা অর্জনসহ ব্যক্তিগতভাবে সুদৃঢ়, সুশৃঙ্খল, নির্লোভ ও নির্ভীক সর্বোপরি উন্নত চরিত্রের অধিকারী হওয়ার উপদেশ দেন। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে নারীদের অবিস্মরণীয় অবদানের কথা স্মরণ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নবীন নারী সৈনিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, “আজ নারীরা বিভিন্ন অঙ্গনে যথাযথ যোগ্যতা ও কর্মদক্ষতার স্বাক্ষর রাখছেন। এরই ধারাবাহিকতায় আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, তোমরা বিজিবি’র সার্বিক কর্মকান্ড পরিচালনায় আরও গতিশীল ভূমিকা রাখাসহ বাহিনীর সুনাম ও সুখ্যাতি বৃদ্ধিতে সততা, নিষ্ঠা ও দক্ষতার সাথে নিরলসভাবে কাজ করবে। তিনি বিজিবি’র নবীন সৈনিকদের প্রদর্শিত কুচকাওয়াজের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন এবং নবীন সৈনিকদের নতুন জীবনে পদার্পনের শুভলগ্নে তাদের স্বাগত জানান |
বিজিবিতে এন্টি গাইডেড উইপন সংযোজন করা হয়েছে | একইসাথে নবীন সৈনিকদের দক্ষতা ও পেশাদারিত্বের নিদর্শন তুলে ধরার জন্য বিজিবি মহাপরিচালক, বর্ডার গার্ড ট্রেনিং সেন্টার এন্ড কলেজের কমান্ড্যান্ট এবং সংশ্লিষ্ট সকল প্রশিক্ষক ও কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ জানান। বিজিবি’র সার্বিক উন্নয়নে বর্তমান সরকারের বাস্তবায়িত বিভিন্ন কর্মকান্ডের কথা উল্লেখ করে মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিজিবিকে একটি অত্যাধুনিক ও আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন সীমান্তরক্ষী বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে বর্তমান সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বিজিবি’র সাংগঠনিক কাঠামোতে ব্যাপক পরিবর্তন এনে বিজিবিকে একটি ত্রিমাত্রিক বাহিনীতে উন্নীত করা হয়েছে। স্মার্ট বর্ডার ম্যানেজমেন্ট এর অংশ হিসেবে সীমান্তে নতুন বিওপি, বিএসপি নির্মাণসহ অত্যাধুনিক সার্ভেইলেন্স ইকুইপমেন্ট স্থাপন, এটিভি ও অত্যাধুনিক এপিসি, রায়ট কন্ট্রোল ভেহিক্যাল, ভেহিক্যাল স্ক্যানার ও দ্রুতগামী জলযান সংযোজন করা হয়েছে |
বিজিবিতে এন্টি গাইডেড উইপন সংযোজন করা হয়েছে | এছাড়াও অতি সম্প্রতি এই বাহিনীতে অত্যাধুনিক এন্টি ট্যাংক গাইডেড উইপন সংযোজন করা হয়েছে। বিজিবি’র প্রশিক্ষণ কর্মকান্ডের কলেবর বৃদ্ধির বিষয়টি বিবেচনায় রেখে চুয়াডাঙ্গায় আরেকটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নির্মাণের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠান শেষে ৯৬তম রিক্রুট ব্যাচের সেরা চৌকস রিক্রুট হিসেবে ১ম স্থান অধিকারী বক্ষ নম্বর ৪০২ রিক্রুট (জিডি) নয়ন এবং অন্যান্য বিষয়ে সেরা সৈনিকদের হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন। পরিশেষে বিজিবি’র সুসজ্জিত নবীন সৈনিকদের চৌকস দল কর্তৃক মাননীয় যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে আবারও সশস্ত্র সালাম প্রদানের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়। |
নয়াপল্টনে শোডাউন করল ছাত্রদলের ৪ কমিটি | রাজধানীর নয়াপল্টনে অবস্থিত বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ব্যাপক শোডাউন করেছেন সদ্য ঘোষিত ঢাকা মহানগর ছাত্রদলের চার কমিটির নেতারা।আজ শনিবার (১৭ জুলাই) সকাল ১০টা থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে আসতে থাকেন কমিটির নেতারা।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সকাল ১১টার মধ্যে ওই এলাকায় সহস্রাধিক নেতাকর্মীর সমাবেশ ঘটে। নেতাকর্মীরা ফুটপাতে দাঁড়িয়ে নতুন কমিটির নামে শুভেচ্ছা জানিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন |
নয়াপল্টনে শোডাউন করল ছাত্রদলের ৪ কমিটি | এ সময় 'আমরা সবাই জিয়ার সেনা, ভয় করি না বুলেট বোমা', 'মহানগর নতুন কমিটি লাল গোলাপ শুভেচ্ছা' 'নেত্রী মোদের খালেদা জিয়া নেতা মোদের তারেক জিয়া' ইত্যাদি স্লোগানে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে পুরো এলাকা। একপর্যায়ে দুপুর ১২টার একটু আগে মিছিল নিয়ে ফকিরেরপুল এলাকার দিকে চলে যায় ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।এ ঘটনায় সকাল সাড়ে ৯টা থেকে নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। ভিক্টোরিয়া হোটেলের সামনে লাইন ধরে অবস্থান নেয় পুলিশ |
নয়াপল্টনে শোডাউন করল ছাত্রদলের ৪ কমিটি | গত ১৪ জুলাই ঢাকা মহানগর উত্তর, দক্ষিণ, পূর্ব ও পশ্চিম ছাত্রদলের দুই সদস্য করে নতুন আহ্বায়ক কমিটির ঘোষণা দেওয়া হয়। কমিটি অনুমোদন দেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন ও ইকবাল হোসেন শ্যামল।মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক শাহ আলম (পাভেল শিকদার), সদস্যসচিব নিয়াজ মাহমুদ (নিলয়), উত্তরের আহ্বায়ক জসিম শিকদার রানা, সদস্য সচিব রুহুল আমিন সোহেল, পূর্বের আহ্বায়ক শেখ খালিদ হাসান জ্যাকি, সদস্যসচিব মোহাম্মদ আল আমিন এবং পশ্চিমের মহসিন সিদ্দিকী রবি ও সদস্য আশরাফুল ইসলাম মামুনর নাম ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল। |
ইভ্যালির চেয়ারম্যান-এমডির বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা | ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি ডটকমের চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন এবং এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. রাসেলের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ ইমরুল কায়েশ এই আদেশ দেন।আজ শনিবার (১৭ জুলাই) দুদকের কোর্ট ইন্সপেক্টর আমিনুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।আদালত সূত্রে জানা গেছে, দুর্নীতির অনুসন্ধান চলাকালে গত বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) দুদকের সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী ইভ্যালির চেয়ারম্যান ও এমডির বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞার আবেদন করেন |
ইভ্যালির চেয়ারম্যান-এমডির বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা | এর পরিপ্রেক্ষিতে আদালত আবেদন মঞ্জুর করে তাঁদের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেন।সূত্র আরো জানায়, গত ৮ জুলাই গ্রাহক ও মার্চেন্টের ৩৩৯ কোটি টাকার হদিস না থাকার বিষয়ে অনুসন্ধানে নামে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সম্প্রতি ইভ্যালির এমডি মো. রাসেল এবং চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন গোপনে দেশত্যাগের চেষ্টা করছেন। অনুসন্ধান কার্যক্রম চলমান থাকা অবস্থায় অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা দেশত্যাগ করলে সার্বিক অনুসন্ধান কার্যক্রম ব্যাহত হতে পারে বলে প্রতীয়মান হওয়ায় গত ৮ জুলাই ইভ্যালির এমডি মো. রাসেল এবং চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞাসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয় দুদক |
ইভ্যালির চেয়ারম্যান-এমডির বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা | এদিকে গ্রাহকের কাছ থেকে অর্থ নিয়ে সময়মতো পণ্য সরবরাহ না করাসহ নানা অভিযোগে ইভ্যালির বিরুদ্ধে মামলার সুপারিশ করে সম্প্রতি চিঠি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে করা বাংলাদেশ ব্যাংকের তদন্তে উঠে আসা আর্থিক অনিয়মগুলো তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে দুর্নীতি দমন কমিশনকেও (দুদক) পৃথক চিঠি পাঠানো হয়েছে।চিঠিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, 'ইভ্যালি ডটকমের চলতি সম্পদ দিয়ে মাত্র ১৬.১৪ শতাংশ গ্রাহককে পণ্য সরবরাহ করতে পারবে বা অর্থ ফেরত দিতে পারবে। বাকি গ্রাহক এবং পণ্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান বা মার্চেন্টের পাওনা পরিশোধ করা ওই কম্পানির পক্ষে সম্ভব নয় |
ইভ্যালির চেয়ারম্যান-এমডির বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা | এ ছাড়া গ্রাহক ও মার্চেন্টদের কাছ থেকে নেওয়া ৩৩৮.৬২ কোটি টাকার কোনো হদিস পাওয়া যাচ্ছে না, যা আত্মসাৎ কিংবা অবৈধভাবে অন্যত্র সরিয়ে ফেলার আশঙ্কা রয়েছে। 'গ্রাহকের কাছ থেকে নেওয়া অগ্রিম এবং মার্চেন্টের পাওনা ৩৩৮ কোটি ৬২ লাখ টাকা 'আত্মসাৎ ও পাচারের' অভিযোগে এরই মধ্যে ইভ্যালির বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক। এর অংশ হিসেবে রাসেল ও তাঁর স্ত্রীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠার পর এক-দুই মাসের আগাম সময় নিয়ে প্রায় অর্ধেক মূল্যে পণ্য সরবরাহের বিভিন্ন 'অফার' দেওয়া শুরু করেছিল ইভ্যালি |
ইভ্যালির চেয়ারম্যান-এমডির বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা | তাতে অল্প সময়ের মধ্যে সারা দেশে মোটরসাইকেল, ফ্রিজ, এসি, প্রাইভেট কারসহ নানা পণ্যের ক্রেতাদের ভিড় জমেছিল ইভ্যালিতে। স্বল্প মূল্যের এসব পণ্যের জন্য টাকা নেওয়া হতো অগ্রিম, কিন্তু কিছু ক্রেতাকে পণ্য দিয়ে বাকিদের অপেক্ষায় রাখার কৌশল নিয়ে তারা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছিল বলে পরে অভিযোগ উঠতে শুরু করে।চলতি মাসের শুরুতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা এক নীতিমালায় বলা হয়, অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলোকে পণ্যের অর্ডার নেওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তা সরবরাহ করতে হবে এবং ১০ শতাংশের বেশি অগ্রিম টাকা নেওয়া যাবে না। এর পর থেকে ভাউচারের অফার দেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়। আর এতে ক্ষতির মুখে পড়েন প্রতিষ্ঠানটির গ্রাহকরা। |
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে রাশিয়ার সহযোগিতা চাইলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী | রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে রাশিয়ার সহযোগিতা কামনা করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।আজ শনিবার (১৭ জুলাই) উজবেকিস্তানের তাসখন্দে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের সঙ্গে এক বৈঠকে এই সহযোগিতা চান ড. মোমেন। তিনি বাংলাদেশের কঠিন সময়ে পাশে থাকার জন্য রাশিয়াকে ধন্যবাদ জানান।তাসখন্দে বাংলাদেশ ও রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় |
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে রাশিয়ার সহযোগিতা চাইলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী | এতে বাংলাদেশ পক্ষের নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। আর রাশিয়ার পক্ষে নেতৃত্ব দেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ২০২৩ ও ২০২৪ সালে বাংলাদেশে দুটি পরমাণু প্রকল্প সম্পন্ন করার প্রতিশ্রুতি দেন। দুই মন্ত্রী বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যে বিদ্যমান পারস্পরিক সহযোগিতার স্তর নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন |
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে রাশিয়ার সহযোগিতা চাইলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী | পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনকালে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের পাঠানো বার্তার জন্য ধন্যবাদ জানান। ড. মোমেন কঠিন সময়ে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়ানোর জন্য ধন্যবাদ জানান। এ সময় করোনার ভ্যাকসিনসহ নানা ইস্যু বিশেষত বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে তাদের প্রত্যক্ষ সহযোগিতার কথা উল্লেখ করেন।পররাষ্ট্রমন্ত্রী রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসনে রাশিয়ার সক্রিয় সহযোগিতার জন্য অনুরোধ করেন |
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে রাশিয়ার সহযোগিতা চাইলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী | দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ বিষয়ে একসঙ্গে কাজ করতে সম্মত হন। রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, এ বিষয়ে মিয়ানমারকে বাংলাদেশের সঙ্গে সংলাপে উৎসাহিত করবে তারা।তাসখন্দে 'মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক কানেক্টিভিটি: সুযোগ ও চ্যালেঞ্জ' শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দিতে গত ১৪ জুলাই উজবেকিস্তানে যান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন। |
রাজধানীতে মেডিক্যাল শিক্ষার্থীর আত্মহনন | রাজধানীর গুলশান নিকেতনের একটি বাসায় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন ফারিয়া হায়দার (২১) নামের এক মেডিক্যাল শিক্ষার্থী।আজ শনিবার (১৭ জুলাই) সকাল সাড়ে ৯টায় অচেতন অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।ফারিয়ার পরিবার সূত্রে জান গেছে, ফারিয়া মালয়েশিয়ার একটি মেডিক্যাল কলেজের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। তাঁরা নিকেতনে থাকেন |
রাজধানীতে মেডিক্যাল শিক্ষার্থীর আত্মহনন | করোনার কারণে তিনি দেশে থেকে অনলাইনেই ক্লাস করছিলেন।সূত্র আরো জানায়, গতরাতে খাবার খেয়ে নিজের ঘরে ঘুমিয়ে পড়েন ফারিয়া। সকালে পরিবারের সদস্যরা ফারিয়ার রুমে গিয়ে দেখেন, ফ্যানের সঙ্গে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলে আছেন। তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় |
রাজধানীতে মেডিক্যাল শিক্ষার্থীর আত্মহনন | সেখান থেকে চিকিৎসকরা তাঁকে ঢাকা মেডিক্যালে পাঠিয়ে দেন। এ সময় সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান জানান, ঘটনাটি শুনেছি। বিস্তারিত জানার জন্য মেডিক্যালে একটি দল পাঠানো হয়েছে।ঢাকা মেডিক্যাল পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ (ইন্সপেক্টর) বাচ্চু মিয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহ মর্গে রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি। |
সাংবাদিক মিজানুর রহমান তোতা আর নেই | দৈনিক ইনকিলাবের যশোর ব্যুরো প্রধান ও বিশেষ সংবাদদাতা মিজানুর রহমান তোতা (৬৫) আর নেই (ইন্নালিল্লাহি...রাজিউন)।আজ শনিবার (১৭ জুলাই) সকাল ৭টার দিকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।যশোর সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ফারাজী আহমেদ সাঈদ বুলবুল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।গত ৩ জুলাই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন সাংবাদিক তোতা |
সাংবাদিক মিজানুর রহমান তোতা আর নেই | ১৯৭৭ সাল থেকেই ছড়া, কবিতা, সংবাদ লেখালেখিতে প্রবেশ। ১৯৭৮ সালে দৈনিক গণকণ্ঠের রিপোর্টার, সমাচারের স্টাফ রিপোর্টার, ১৯৭৯ সালে দৈনিক স্ফুলিঙ্গের স্টাফ রিপোর্টার, ১৯৮০ সালে পিআইবির লং কোর্সের প্রশিক্ষণ, পরবর্তীতে দৈনিক স্ফুলিঙ্গের নিউজ এডিটর, দৈনিক ঠিকানায় এক্সিকিউটিভ এডিটর, দৈনিক আজাদের স্টাফ রিপোর্টার ও বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন এই প্রথিতযশা সাংবাদিক। এর মধ্যে সাপ্তাহিক ছুটি, সাপ্তাহিক পূর্ণিমায় খণ্ডকালীন লেখালেখি, তারপর থেকেই দৈনিক ইনকিলাবে টানা ৩৫ বছরই তিনি কাজ করছেন তিনি।গত ৪৫ বছরের সাংবাদিকতা জীবনে যশোর সংবাদপত্র জগতে বিচরণ করে অবিভক্ত যশোর সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি, একবার প্রেসক্লাব যশোরের সেক্রেটারি ও তিনবার সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তোতা |
সাংবাদিক মিজানুর রহমান তোতা আর নেই | সাংবাদিকতার ওপর তোতার 'মাঠ সাংবাদিকতা' এবং আত্মজৈবনিক গ্রন্থ 'ক্ষতবিক্ষত বিবেক' নামের গ্রন্থ দুটি ইতোপূর্বে খুবই সমাদৃত। এই সাংবাদিক সাহিত্যচর্চা করেন বহুদিন। তাঁর অসংখ্য কবিতা দেশে-বিদেশের পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। তাঁর নির্বাচিত ৮০টি কবিতা নিয়ে প্রকাশিত হয়েছে তাঁর কাব্যগ্রন্থ 'দিবানিশি স্বপ্নের খেলা'। |
রাজধানীর ১৯ হাটে কোরবানির পশু বিক্রি শুরু | আজ শনিবার (১৭ জুলাই) ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের ১৯টি অস্থায়ী পশুর হাটে আনুষ্ঠানিকভাবে কোরবানির পশু বিক্রি শুরু হয়েছে, যদিও এর আগেই ইজারার শর্ত ভেঙে বিভিন্ন হাটে শুরু হয় পশু বিক্রি।বিক্রেতারা বলছেন, ছুটির দিন (শুক্রবার) হওয়ায় সবাই পশু দেখতে হাটে ভিড় জমিয়েছে; কিন্তু বেচাকেনা এখনো শুরু হয়নি। যদিও বেশ কিছু ক্রেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, ঝামেলা এড়াতে এবং ভালো গরু পেতে হাট শুরু হওয়ার আগেই তাঁরা সেরে ফেলেছেন পশু কেনার কাজটি।গতকাল শুক্রবার ছিল রাজধানীর পশুর হাটগুলোর প্রস্তুতি সম্পন্ন করার শেষ দিন |
রাজধানীর ১৯ হাটে কোরবানির পশু বিক্রি শুরু | দেখা যায়, এরই মধ্যে বেশির ভাগ হাটের প্রস্তুতির কাজ সেরে ফেলেছেন ইজারাদাররা। পশু বেঁধে রাখার জন্য বাঁশের কাঠামো নির্মাণ, হাটের নিচু জায়গাগুলোতে বালু ফেলা, জীবাণুনাশক টানেল বসানো, হাসিল বুথ, হাট মনিটরিং কমিটি সেন্টারসহ সব কাজ শেষ। কিছু হাটের ইজারাদাররা পশু বেঁধে রাখার বাঁশের কাঠামো নির্মাণের কাজ কিছুটা বাকি রেখেছেন। হাটে আরো কী পরিমাণ নতুন গরু আসবে, সেটা না বুঝে এখনই বাকি কাজ সারতে চান না তাঁরা |
রাজধানীর ১৯ হাটে কোরবানির পশু বিক্রি শুরু | ১৯টি অস্থায়ী পশুর হাটের মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) হাটের সংখ্যা ১০। এ ছাড়া সারুলিয়ায় ডিএসসিসির একটি স্থায়ী হাট রয়েছে। অন্যদিকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) রয়েছে ৯টি হাট। পাশাপাশি গাবতলীতে রয়েছে সংস্থাটির একটি স্থায়ী হাট |
রাজধানীর ১৯ হাটে কোরবানির পশু বিক্রি শুরু | গতকাল গাবতলীর হাটে গিয়ে দেখা যায়, কোরবানি উপলক্ষে হাটটিতে পশু বিক্রি শুরু হয়েছে বেশ জোরেশোরেই। সারা বছর হাটটি চালু থাকলেও কোরবানির সময়ই হাটের মূল বেচাকেনা হয়। গতকাল এই হাট থেকে এক লাখ ২০ হাজার টাকায় গরু কিনেছেন কল্যাণপুরের বাসিন্দা রাসেল ইবনে কামাল। তিনি বলেন, 'পরে হাটে ভিড় আরো বাড়ব |
রাজধানীর ১৯ হাটে কোরবানির পশু বিক্রি শুরু | তাই আগেই কিনা নিলাম। করোনার মধ্যে ভিড়ের হাটে না আসাই ভালো। 'রাজধানীর মেরাদিয়া পশুর হাটে গিয়ে দেখা যায়, বনশ্রী এইচ ব্লক থেকে এন ব্লক পর্যন্ত প্রস্তুত এই হাট। ঢুকতেই মাইকে বারবার স্বাস্থ্যবিধি মানাসংক্রান্ত ঘোষণা কানে এলেও সে বিষয়ে বিশেষ নজর দিতে দেখা যায়নি ক্রেতা-বিক্রেতাকে |
রাজধানীর ১৯ হাটে কোরবানির পশু বিক্রি শুরু | মাস্ক, জীবাণুনাশক টানেল বা হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারেও ছিল তাঁদের অনীহা। হাটটিতে আজ বেচাকেনা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও অল্প পরিসরে এরই মধ্যে এ হাটে চলছে পশু বেচাকেনা।এদিকে রাজধানীর ভাটারা থানার নতুনবাজারসংলগ্ন সাঈদনগর কোরবানির পশুর হাটের প্রস্তুতি এরই মধ্যে শেষ। দু-তিন ধরে এই হাটে অল্প কিছু গরু-ছাগল বিক্রি হচ্ছিল |
রাজধানীর ১৯ হাটে কোরবানির পশু বিক্রি শুরু | তবে আজ শুরু হচ্ছে হাটের মূল বেচাকেনা। হাটটি ঘুরে জানা যায়, সময় যত যাচ্ছে হাটে ক্রেতা-বিক্রেতাদের ভিড়ও বাড়ছে। ক্রেতাদের বেশির ভাগই দামদর দেখতে আসছে। আবার কেউ কেউ পছন্দের গরুটি কিনে নিয়ে যাচ্ছেন এবং দামদর ঠিক করে বায়না দিয়েও যাচ্ছেন |
রাজধানীর ১৯ হাটে কোরবানির পশু বিক্রি শুরু | হাটে বেশির ভাগ বিক্রেতার মুখে মাস্ক নেই। স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে জটলা বেঁধে যেমন-তেমনভাবে সময় পার করছেন। হাটের গেটগুলোর মুখে জীবাণুনাশক টানেল ও বেসিন বসানো হলেও কাউকে ব্যবহার করতে দেখা যায়নি। তবে ইজারাদার কর্তৃপক্ষ সব সময় মাইকিং করে স্বাস্থ্যবিধি মানাসহ সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়ে সতর্ক করছে ক্রেতা-বিক্রেতাদের।হাটটিতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যদের পাশাপাশি ৩০০ স্বেচ্ছাসেবক তিন শিফটে কাজ করছেন। |
সুশাসন কি এতই অধরা? | রূপগঞ্জের হাসেম ফুডস্ কারখানার মালিক ও তাঁর সঙ্গীসাথীদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা হয়েছে। কেন? তাঁরা কি কাউকে বন্দুক দিয়ে গুলি করে অথবা অন্য কোনো কিছু দিয়ে হত্যা করেছেন? উত্তর : না, তা করেননি, তবে যা করেছেন তা অস্ত্র দিয়ে খুন করার চেয়ে কোনো অংশে কম নয়। সে ব্যাপারে কিছু কিছু ডিটেল পত্র-পত্রিকার মারফত ইতিমধ্যেই আমরা জানতে পেরেছি। বাকি অংশ যথাসময়ে নিশ্চয়ই ‘রূপালী পর্দায়’ দেখব!তবে একটা কথা তো ঠিক |
সুশাসন কি এতই অধরা? | রূপগঞ্জের ওই নাতিপ্রসিদ্ধ জনপদে ফ্যাক্টরির নামে যে মরণফাঁদ ওই হুজুরেরা দীর্ঘদিন ধরে পেতে রেখেছিলেন, তাতে এত দিন যে ফান্দে পড়িয়া বগারা কান্দে নাই এটাই তো আশ্চর্যের ব্যাপার। ফ্যাক্টরিটি যে দৈর্ঘ্যে-প্রস্থে-উচ্চতায়-ব্যস্ততায় বিশাল এবং তাতে যে নারী-পুরুষ, কিশোর-কিশোরী, পোলাপাইন-মাইয়াপাইন শুধু মজুরির দুটো কাঁচা পয়সার জন্য দিনের পর দিন, মাসের পর মাস তনুমন সমর্পণ করে মুখ বুজে নাক ডুবিয়ে যন্ত্রের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কাজ করত তা তো এখন শুধু রূপগঞ্জ থানার বড়বাবু-মেজোবাবু-সেজোবাবু-ছোটবাবু নন, আমজনতা সবার কাছে স্পষ্ট। ওই ফ্যাক্টরিতে ‘জুস্’ বানাতে গিয়ে ওই সব শ্রমিক যে একদিন নিজেরা শব্দার্থে কাবাব হবে তা কি তারা জানত? না বোধ হয়। তারা শুধু জীবন-যৌবন উৎসর্গ করেছিল মালিকের চাহিদামত পণ্য উৎপাদন করতে |
সুশাসন কি এতই অধরা? | হায়, তারা কোনোদিন মালিকের কাছ থেকে জানতে চায়নি : হুজুর, যদি ফ্যাক্টরিতে হঠাৎ আগুন লাগে তা হলে আমরা জান বাঁচাতে কোনদিক দিয়ে পালাব? কোন দরজা দিয়ে? চারতলা থেকে নিচে নামব কোন সিঁড়ি বেয়ে?না, বস্তুতপক্ষে আমাদের দেশের প্রেক্ষিতে এসব বিষয় তাদের জানার কথা না। তারা শ্রমিক। তাদের দায়িত্ব শুধু রক্ত জল না হওয়া পর্যন্ত শ্রম দিয়ে যাওয়া। ইংরেজ কবি টেনিসনের সেই ‘চার্জ অব দ্য লাইট ব্রিগেড’ কবিতার সৈন্যদের মতো তারা কী কেন ইত্যাদি জানতে চাইবে না, ‘দে আর বাট টু ডু অ্যান্ড ডাই’ |
সুশাসন কি এতই অধরা? | তারা কাজ করতে করতে ওই মেশিনের ওপর মরে পড়ে থাকবে। লেলিহান অগ্নিশিখা তোমাকে গ্রাস করতে ছুটে আসছে, তুমি শ্রমিক, তোমার জানার দরকার নেই নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার রাস্তা কোন দিকে। তুমি যেখানে আছো সেখানেই বাজে খরচ হয়ে যাও, তোমার শূন্যস্থান পূরণ করে নেবো আমরা কাল সকালেই তোমারই কোনো ভাই বন্ধুকে দিয়ে। হাঁ, এরকমই বোধ হয় ওই হাসেম ফুডস্ কারখানার মালিকদের চিন্তাধারা |
সুশাসন কি এতই অধরা? | তা না হলে এত বিশাল ছয়তলা ফ্যাক্টরি ভবনে কোনো ইমার্জেন্সি একজিট (জরুরি নির্গমন পথ) নেই কেন? আগুন লাগলে সঙ্গে সঙ্গে যে কেউ ফায়ার অ্যালার্ম (অগ্নিসঙ্কেতসূচক ঘণ্টাধ্বনি) বাজিয়ে সবাইকে সতর্ক করবে সে ব্যবস্থাই নাকি নেই পুরো ভবনে। তেমনি নেই কোথাও থেকে ধোঁয়া বের হলে ‘স্মোক ডিটেক্টর’ নামক যন্ত্র, যেটা তাত্ক্ষণিকভাবে জানিয়ে দেবে কোথাও আগুন লেগেছে। সর্বোপরি কারখানাটি যেখানে নির্মাণ করা হয়েছে, সেখানে ফায়ার ব্রিগেডের গাড়ি বা অন্য কোনো বড় গাড়ি ঢোকার সুপ্রশস্ত রাস্তাই নাকি নেই। ৮ জুলাইয়ের আগুন নেভাতে তাই ফায়ার ব্রিগেডের গাড়িগুলো অকুস্থলে যেতেই পারছিল না |