title
stringlengths 7
102
| content
stringlengths 39
8k
|
---|---|
ঈদের আনন্দে রঙিন ১৭ লাখ পরিবার | অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।এ ব্যাপারে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ জানিয়ে কালের কণ্ঠকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা দেওয়ার পরপরই অর্থ মন্ত্রণালয় কাজ শুরু করে। সে অনুযায়ী কিছু যাচাই-বাছাই করা হয়। যোগ্য সবাইকে টাকা দেওয়া হয়েছে |
ঈদের আনন্দে রঙিন ১৭ লাখ পরিবার | অর্থের সংস্থান নিয়ে কোনো সমস্যা নেই।সূত্র মতে, গত মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য পাঁচটি প্যাকেজে তিন হাজার ২০০ কোটি টাকার প্রণোদনা ঘোষণা করেন। পাঁচ প্যাকেজের প্রথমটি ছিল দুই হাজার ৫০০ টাকা করে নিম্ন আয়ের মানুষকে নগদ সহায়তা। মোট ১৭ লাখ ২৪ হাজার ৪৭০ জন দিনমজুর, পরিবহন শ্রমিক, নৌপরিবহন শ্রমিক ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীকে সহায়তা দেওয়ার কথা বলা হয় |
ঈদের আনন্দে রঙিন ১৭ লাখ পরিবার | এতে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৪৫০ কোটি টাকা। অর্থ মন্ত্রণালয় সার্বিক যাচাই-বাছাই শেষে বৃহস্পতিবারই ১৭ লাখ ২০ হাজার ২১৪ জন শ্রমিক ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীর কাছে সহায়তার টাকা পৌঁছে দিয়েছে। অর্থাৎ বাদ পড়েছে চার হাজার ২৫৬ জন। যাঁরা টাকা পেয়েছেন তাঁদের মধ্যে দিনমজুর ১৪ লাখ ৩৭ হাজার ৩৮৯ জন, পরিবহন শ্রমিক দুই লাখ ৩০ হাজার ৪৩২ জন, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ৫০ হাজার ৪৪৫ জন ও নৌপরিবহন শ্রমিক এক হাজার ৯৪৮ জন |
ঈদের আনন্দে রঙিন ১৭ লাখ পরিবার | এঁদের বেশির ভাগ টাকা পেয়েছেন মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টে। বাকিদের টাকা গেছে ব্যাংক অ্যাকাউন্টে। নগদ, বিকাশ ও রকেট তথা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ১৬ লাখ ৬৪ হাজার ৬২৬ জনকে টাকা পাঠানো হয়েছে। আর ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা পেয়েছেন ৫৫ হাজার ৫৮৮ জন |
ঈদের আনন্দে রঙিন ১৭ লাখ পরিবার | মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে যাঁদের টাকা পাঠানো হয়েছে, তাঁদের টাকা তোলার ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা যেন না হয় সে জন্য খরচসহ পাঠানো হয়েছে। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ৪১৮ কোটি ৬৫ লাখ ৩৪ হাজার ৩৯০ টাকা দেওয়া হয়েছে। আর ব্যাংকের মাধ্যমে দেওয়া হয়েছে ১৩ কোটি ৮৯ লাখ ৭০ হাজার টাকা।প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী, ১৪ লাখ ৩৭ হাজার ৩৮৯ জন দিনমজুর দুই হাজার ৫০০ টাকা করে পেয়েছেন |
ঈদের আনন্দে রঙিন ১৭ লাখ পরিবার | এখানে সংখ্যায় কোনো হেরফের হয়নি। এতে সরকারের ব্যয় হয়েছে ৩৬১ কোটি ৪৩ লাখ ২০ হাজার ২৯৫ টাকা। এর মধ্যে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে ১৩ কোটি ৮৯ লাখ ৮৫৩ জনকে দুই হাজার ৫১৫ টাকা করে ৩৪৯ কোটি ৫৪ লাখ ৮০ হাজার ২৯৫ টাকা পাঠানো হয়েছে। আর ৪৭ হাজার ৫৩৬ জন দিনমজুরকে দুই হাজার ৫০০ টাকা করে ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ১১ কোটি ৮৮ লাখ ৪০ হাজার টাকা পাঠানো হয়েছে |
ঈদের আনন্দে রঙিন ১৭ লাখ পরিবার | দুই লাখ ৩৫ হাজার ৩৩ জন পরিবহন শ্রমিককে টাকা পাঠানোর কথা থাকলেও বাদ গেছে চার হাজার ৬০১ জন। টাকা পেয়েছেন দুই লাখ ৩০ হাজার ৪৩২ জন পরিবহন শ্রমিক। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে দুই লাখ ২৩ হাজার ৪৩৪ জন পরিবহন শ্রমিক ৫৬ কোটি ১৯ লাখ ৩৬ হাজার ৫১০ টাকা পেয়েছেন। আর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ছয় হাজার ৯৯৮ জন ১৭ কোটি ৪৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা পেয়েছেন |
ঈদের আনন্দে রঙিন ১৭ লাখ পরিবার | সব মিলিয়ে পরিবহন শ্রমিককে নগদ সহায়তা বাবদ সরকারের ব্যয় ৫৭ কোটি ৯৪ লাখ ৩১ হাজার ৫১০ টাকা।৫০ হাজার ৪৪৫ জন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীর মধ্যে ৪৯ হাজার ৩৯১ জনকে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে ১২ কোটি ৪২ লাখ ১৮ হাজার ৩৬৫ টাকা দেওয়া হয়েছে। আর এক হাজার ৫৪ জনকে দুই কোটি ৬৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যাংক অ্যাকাউন্টে দেওয়া হয়েছে। সরকারের ব্যয় ১২ কোটি ৬৮ লাখ ৫৩ হাজার ৩৬৫ টাকা |
ঈদের আনন্দে রঙিন ১৭ লাখ পরিবার | এদিকে নৌপরিবহন শ্রমিকের সংখ্যা শেষ দিকে কিছুটা বাড়ানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণায় এক হাজার ৬০৩ জনের কথা বলা হলেও অর্থ মন্ত্রণালয় এক হাজার ৯৪৮ জনকে টাকা পাঠিয়েছে। এঁদের সবাইকে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে চার কোটি ৮৯ লাখ ৯ হাজার ২২০ টাকা পাঠানো হয়েছে।দিনমজুর, পরিবহন শ্রমিক, নৌপরিবহন শ্রমিক এবং ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীকে দুই হাজার ৫০০ টাকা পাঠানোয় সব মিলিয়ে সরকারের ব্যয় হয়েছে ৪৩২ কোটি ৫৫ লাখ চার হাজার ৩৯০ টাকা |
ঈদের আনন্দে রঙিন ১৭ লাখ পরিবার | এ টাকা চলতি অর্থবছরের বাজেট থেকে দেওয়া হয়েছে।এর আগে গত অর্থবছর কর্মহীন, অতিদরিদ্র মানুষকে সহায়তা দিতে সারা দেশ থেকে নির্বাচিত ৩৫ লাখ পরিবারকে নগদ দুই হাজার ৫০০ টাকা করে দেওয়া হয়। এতে সরকারের ব্যয় হয়েছে ৮৭৫ কোটি টাকা। |
করোনা ইউনিটেও রোগীর ভরসা স্বজনরা | নিচে সিঁড়িতে ওঠার পথেই লাল স্টিকারে বেশ বড় করে লেখা ‘কভিড-১৯ রেড জোন’। সিঁড়ি ভেঙে দোতলায় উঠলে বাঁয়ে একইভাবে বড় লাল অক্ষরে লেখা ‘আইসোলেশন ইউনিট’। গেট পুরোটাই খোলা। ভেতরের করিডরে বসার ব্যবস্থা চিকিৎসক ও নার্সদের |
করোনা ইউনিটেও রোগীর ভরসা স্বজনরা | গ্লাস দিয়ে আলাদা করা ওয়ার্ডের ভেতরে সারি সারি বেডে রোগী। প্রায় প্রতি বেডের সঙ্গে অক্সিজেন সিলিন্ডার। প্রতিটি বেডেই রোগী আছে। কেউ শুয়ে, কেউ বসে |
করোনা ইউনিটেও রোগীর ভরসা স্বজনরা | কারো অক্সিজেন লাগানো, কেউ আছে অক্সিজেন ছাড়াই। প্রতি রোগীর কাছেই এক-দুজন করে স্বজন। ছোট পরিসরের রুম রোগী আর স্বজনদের ভিড়ে রীতিমতো ঠাসাঠাসি। আছেন ডাক্তার-নার্সও |
করোনা ইউনিটেও রোগীর ভরসা স্বজনরা | একটি বেডের রোগীর মুখে খাবার তুলে দিতে দেখা যায় তার সঙ্গে থাকা স্বজনকে। একজন রোগী বেড না পেয়ে রুমের ভেতরের ডিউটি ডাক্তারের চেয়ারেই বসে পড়েন। কিছুক্ষণ পরেই সঙ্গে থাকা তরুণকে ডেকে বলেন, ‘আমারে বাথরুমে নিয়া চল, বাথরুম করুম। ’ ওই তরুণ রোগীকে ধরে নিয়ে যান বাথরুমের দিকে |
করোনা ইউনিটেও রোগীর ভরসা স্বজনরা | অন্যদিকে বাইরে থেকে যে যার মতো ঢুকছে, বের হচ্ছে অবাধে। সানজিদা নামের একজন বাইরে থেকে এসেই হনহন করে ঢুকে গেলেন ওয়ার্ডের ভেতরে। সঙ্গে আরো এক যুবক। ওয়ার্ডের ভেতরের বাঁ পাশের সারির মাঝের বেডে বসে আছেন বয়স্ক একজন রোগী, যাঁর মাস্ক ঝুলছে থুতনির নিচে |
করোনা ইউনিটেও রোগীর ভরসা স্বজনরা | সানজিদা গিয়ে রোগীর বেডে বসে মোবাইল ফোনে কথা বলা শুরু করেন। কথা বলতে বলতেই বেরিয়ে আসেন ওয়ার্ডের বাইরে।জানতে চাইলে সানজিদা বলেন, ‘দুই দিন ধরে বাবাকে এখানে ভর্তি করেছি। তাঁর করোনার উপসর্গ আছে |
করোনা ইউনিটেও রোগীর ভরসা স্বজনরা | মাঝেমধ্যে শ্বাসকষ্ট হয়, তখন অক্সিজেন লাগে, আবার মাঝেমধ্যে অক্সিজেন ছাড়াই থাকতে পারেন। আমরা দুই ভাই-বোন বাবার সঙ্গে থাকি। তাঁকে খাওয়ানো, বাথরুমে নেওয়া, ওষুধ খাওয়ানো—সবই আমরা করি। আমরা আক্রান্ত হতেই পারি |
করোনা ইউনিটেও রোগীর ভরসা স্বজনরা | কিন্তু কী করব!’পাশ থেকেই আরেক রোগীকে অক্সিজেন লাগানো অবস্থায় চারজনে ধরাধরি করে ওই ইউনিট থেকে বের করে নিচে নিয়ে যান। তাঁদের একজন সুমন বলেন, বাবার করোনার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। তীব্র শ্বাসকষ্ট আছে। সিলিন্ডার, অক্সিজেনে কাজ হচ্ছে না |
করোনা ইউনিটেও রোগীর ভরসা স্বজনরা | হাইফ্লোতে বেড নেই। ডাক্তাররা আইসিইউর পরামর্শ দিয়েছেন। এখন বাইরে নিয়ে যাই, দেখি কোনো প্রাইভেট হাসপাতালে আইসিইউ পাই কি না। ’গতকাল শনিবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের কভিড রেড জোন জুড়েই দেখা যায় রোগী আর স্বজনদের এমন ভিড় আর ছোটাছুটি |
করোনা ইউনিটেও রোগীর ভরসা স্বজনরা | এ ছাড়া নিচতলায় আউডডোর থেকে শুরু করে দ্বিতীয় তলার প্রশাসনিক ব্লকেও দেখা যায় মানুষের রীতিমতো উপচে পড়া ভিড়। প্রশাসনিক ব্লকে বেশি ভিড় বিদেশগামীদের টিকা নিতে। নিচে আইটডোরে করোনা টেস্টিং বুথেও ক্ষণে ক্ষণে আসছে মানুষ। ওই বুথের সামনে দিয়েই রেড জোনে যাতায়াত মানুষের |
করোনা ইউনিটেও রোগীর ভরসা স্বজনরা | রেড জোনে কেন সবার অবাধে যাতায়াত থাকছে জানতে চাইলে এই হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. খলিলুর রহমান কালের কণ্ঠকে বলেন, এখন রোগীর চাপ অনেক বেশি। ফলে রোগীদের স্বজনরাও রোগীর সঙ্গে থাকতে চায়। তারা যার যার রোগীকে সেবায় সহায়তা করে।পরিচালক বলেন, ‘রোগীর চাপ সামলাতে আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যেই ৪ ও ৫ নম্বর ওয়ার্ডকেও কভিড আইসোলেশন ইউনিটে রূপান্তর করব |
করোনা ইউনিটেও রোগীর ভরসা স্বজনরা | এ ছাড়া জনবলও লাগবে। জনবল চেয়েছি। পাব বলে আশা করছি। ’দুপুর ১২টায় হাসপাতালের মূল ভবনের নিচতলার করিডর আর রাস্তাজুড়ে হঠাৎই যেন মানুষ আর গাড়ি-রিকশা-অটোরিকশায় রীতিমতো জট লেগে যায় |
করোনা ইউনিটেও রোগীর ভরসা স্বজনরা | হৈ-হুল্লোড়ে অস্থির হয়ে ওঠে পরিবেশ। খবর পেয়ে আনসার সদস্যদের নিয়ে ছুটে আসেন পরিচালক। রিকশা-অটোরিকশা লাঠিপেটা করে জটমুক্ত করেন। তবে নির্দিষ্ট পার্কিং এরিয়ার বাইরে পুরো রাস্তার দুই পাশে গাড়ি রাখায় চটে যান পরিচালক |
করোনা ইউনিটেও রোগীর ভরসা স্বজনরা | পরে আনসার সদস্যরা বাঁশি বাজিয়ে করিডরে মানুষের জটলা কমানোর চেষ্টা করেন। পরিচালক বলেন, হাসপাতালে যদি এমন ঠাসাঠাসি থাকে তবে সংক্রমণ কমানো কঠিন হবে।সাড়ে ১২টায় একটি প্রাইভেট কার এসে থামার সঙ্গে সঙ্গে ভেতর থেকে আহাজারি করতে করতে বেরিয়ে আসেন মধ্যবয়সী এক নারী। সামনে যাকে পান তাকে ধরেই জানতে চান এখানে আইসিইউ খালি আছে কি না |
করোনা ইউনিটেও রোগীর ভরসা স্বজনরা | এ সময় হাসপাতালের একাধিক স্টাফ এগিয়ে গিয়ে জানান আইসিইউ খালি নেই একটিও। অন্য কোথাও যেতে হবে। কথা শুনে হাউমাউ করে কেঁদে ফেলেন ওই নারী। বলেন, ‘আমার হাজব্যান্ডকে নিয়ে আসছিলাম |
করোনা ইউনিটেও রোগীর ভরসা স্বজনরা | খুব শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। ’ তিনি গাড়িতে উঠে দ্রুত চলে যান আইসিইউর খোঁজে অন্য কোথাও।আইসিইউ মিলছে না কেন জানতে চাইলে পরিচালক ডা. খলিলুর রহমান বলেন, ‘এখানে এখন ১০টি আইসিইউ আছে। সবগুলোই রোগীতে ভরা |
করোনা ইউনিটেও রোগীর ভরসা স্বজনরা | আরো ১০টি আইসিইউ স্থাপনের প্রক্রিয়া চলছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তত্ত্বাবধানে এর যন্ত্রপাতি আসছে। যন্ত্রপাতি হাতে পেলে সেগুলো স্থাপন করতে আরো কিছুদিন সময় লাগবে। সেই সঙ্গে অ্যানেসথেসিয়োলজিস্টও দরকার হবে |
করোনা ইউনিটেও রোগীর ভরসা স্বজনরা | সেই নিয়োগপ্রক্রিয়াও মন্ত্রণালয় থেকে চলছে। ’হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. মো. সায়েদুজ্জামান জানান, ২৬৩টি কভিড ডেডিকেটেড জেনারেল বেডের মধ্যে গতকাল খালি ছিল ৬০টি। ১০টি আইসিইউ, ৩০টি হাইফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলা সংবলিত বেড ও ১৫টি অক্সিজেন কনসেনট্রেটরযুক্ত বেডের সবগুলোই রোগীতে পূর্ণ ।এদিকে পরিচালক জানান, সব মিলিয়ে ৮৫০ বেডের শহীদ সোরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে কভিড ডেডিকেটেড বেড ছাড়াও অন্যগুলোতেও নিয়মিত রোগী থাকছে |
করোনা ইউনিটেও রোগীর ভরসা স্বজনরা | সেই সঙ্গে আউটডোরেও প্রতিদিন সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত প্রায় এক হাজার ২০০ জন রোগী থাকে। তাদের সঙ্গে আরো একাধিক মানুষ আসে। সব মিলিয়ে বড় একটি ভিড় সামাল দিতে হচ্ছে প্রতিদিন। |
রোহিঙ্গা ইস্যুতে আইসিসি প্রসিকিউটরের বাংলাদেশ সফরের সম্ভাবনা | আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের প্রধান প্রসিকিউটর করিম আসাদ আহমেদ খানের বাংলাদেশ সফরে আসার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।ইউরোপ সফররত তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ শুক্রবার (১৬ জুলাই) নেদারল্যান্ডসের হেগে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে করিম খানের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানালে তিনি এ আগ্রহ ব্যক্ত করেন। তথ্যমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে এদিন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হয়।গত মাসে নয় বছরের জন্য প্রসিকিউটরের দায়িত্ব পালনের জন্য শপথ গ্রহণকারী ব্রিটিশ আইনজীবী করিম খান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদকে জানান যে, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের বিচার প্রতিষ্ঠার কাজের প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমর্থনের কথা তারা জানেন |
রোহিঙ্গা ইস্যুতে আইসিসি প্রসিকিউটরের বাংলাদেশ সফরের সম্ভাবনা | এই আদালত প্রতিষ্ঠায় ১৯৯৭ সালে 'রোম চুক্তি' সইয়ে শেখ হাসিনার দৃঢ় ভূমিকার কথাও স্মরণ করেন করিম খান।করিম খান কিউসি প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুকে আশ্রয় দেওয়াকে বঙ্গবন্ধু কন্যার মহানুভবতা হিসেবে উল্লেখ করেন এবং বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারের অপরাধের বিচারে তদন্ত অব্যাহত আছে।তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এ সময় আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের রেজিস্ট্রার পিটার লুইসের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন।মন্ত্রী এরপর নেদারল্যান্ডসের যুব সমাজের জন্য নিবেদিত ডিজিটাল গণমাধ্যম আরএনডব্লিউ দপ্তর পরিদর্শনে গেলে সংস্থার পরিচালক সাসকিয়া ব্রাম ড. হাছান মাহমুদকে স্বাগত জানান |
রোহিঙ্গা ইস্যুতে আইসিসি প্রসিকিউটরের বাংলাদেশ সফরের সম্ভাবনা | নেদারল্যান্ডসে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম রিয়াজ হামিদুল্লাহ মন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন।এদিন ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তারের দিন স্মরণে সর্বইউরোপীয় আওয়ামী লীগ আয়োজিত ওয়েবিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় দিনটিকে গণতন্ত্র অবরুদ্ধ দিবস হিসেবে বর্ণনা করেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।সর্বইউরোপীয় আওয়ামী লীগের সভাপতি এম নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমানের সঞ্চালনায় ইউরোপব্যাপী আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ সংযুক্ত ছিলেন।সপ্তাহব্যাপী ইউরোপ সফরশেষে রবিবার (১৮ জুলাই) মন্ত্রীর ঢাকা ফেরার কথা। |
রাজধানীতে ছোট-মাঝারি গরুর চাহিদা বেশী | রাজধানীতে আনুষ্ঠানিকভাবে কোরবানির পশুর অস্থায়ী হাট শুরু হয়েছে। এরইমধ্যে হাটগুলোতে ভরপুরভাবে গরু চলে এসেছে। সে হারে প্রথম দিন কয়েকটি হাটে তেমন গরু বিক্রি হয়নি বলে জানান বিক্রেতারা। কারণ গরুর তুলনায় হাটে ক্রেতা অনেক কম |
রাজধানীতে ছোট-মাঝারি গরুর চাহিদা বেশী | আর যেগুলো বিক্রি হয়েছে তার বেশীরভাগ ছোট ও মাঝারি সাইজের গরু। এই প্রতিবেদক অনন্ত ২৫টি গরু বিক্রি করতে দেখেছেন যার বেশীর ভাগ ৬০ থেকে ৮০ হাজারের মধ্যে। দুই-একটা লাখ টাকার উপরে। এরমধ্যে একটি গরুও ২ লাখ টাকার উপরে বিক্রি করতে দেখেননি |
রাজধানীতে ছোট-মাঝারি গরুর চাহিদা বেশী | আজ শনিবার রাজধানীর উত্তরার ১৭ নাম্বার সেক্টরের পশুর হাটে এমনই চিত্র দেখা গেছে।দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা বিক্রেতাদের সঙ্গে আলাপকালে তারা জানান, হাটে গরুর তুলনায় বিক্রি এখনো ভরপুর শুরু হয়নি। তবে যেগুলো বিক্রি হচ্ছে এদের বেশীর ভাগই ছোট গরু। অন্য বছরের তুলনায় এবার তারা দাম নিয়ে শঙ্কায় আছেন |
রাজধানীতে ছোট-মাঝারি গরুর চাহিদা বেশী | তবে আশা করছেন রবিবার থেকে সব ধরনের গরু বিক্রি বাড়বে। রাজধানীতে অনেকে গরুর রাখার জায়গার সমস্যার কারণে শেষ দিকে গরু কেনেন। তবে তারা আশা করছেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অন্যান্য বছরের মতো গরু বিক্রি করতে পারবেন।এ সময় দেখা গেছে, ক্রেতা-বিক্রেতাদের অনেকের মুখে মাস্ক নেই |
রাজধানীতে ছোট-মাঝারি গরুর চাহিদা বেশী | তাদের হাট কর্তৃপক্ষের ভলান্টিয়ার মাস্ক দিলেও মুখে না লাগিয়ে থুকুনিতেই ঝুলিয়ে রাখছেন। আজমল নামের এক বিক্রেতাকে মাস্ক না পরার কারন জানতে চাইলে, তিনি বলেন, ‘কত আর মাস্ক পরন যায়, এই গরম এই বৃষ্টি। মাস্ক ময়লা হইয়া গেছে তাই ফালাই দিছি। ভলান্টিয়ার আইলে দিবো তখন আবার পরুম |
রাজধানীতে ছোট-মাঝারি গরুর চাহিদা বেশী | ’জামালপুরের মেলান্দহ থেকে ১৬ টি গরু নিয়ে এই হাটে এসেছেন হযরত আলী। তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘দুইদিন হলো হাটে এসেছি। এই সময়ে তিনটি গরু বিক্রি করছি। এগুলো মাঝারি সাইজের |
রাজধানীতে ছোট-মাঝারি গরুর চাহিদা বেশী | তবে আশা করছি বড়গুলা রবি-সোমবার থেকে বিক্রি করতে পারব। এখন যারা আসছেন তাদের অনেকে দরদাম দেখতে আসছেন। ’খিলক্ষেত এলাকার জুবায়ের আলী পশু কিনতে হাটে এসেছেন, কী ধরনের গরু কিনবেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘প্রায় লাখ টাকার কাছাকাছি একটা গরু কিনব। ঠিকঠাক মতো পেলে আজই নিয়ে যাব |
রাজধানীতে ছোট-মাঝারি গরুর চাহিদা বেশী | না হয় পরে আবার আসব। ’তুরাগ এলাকার ক্রেতা মহসিন মিয়া বলেন, ‘৬৫ হাজার টাকা দিয়া একটা ছোট ষাড় নিছি। প্রথম দিনই কিনে ফেলছি। কারণ পরে ভিড় বাড়বে |
রাজধানীতে ছোট-মাঝারি গরুর চাহিদা বেশী | মূলত ঝামেলা কমানো জন্যই আগেবাগে কিনে ফেললাম। ’কুষ্টিয়া সদর উপজেলার উজ্জ্বল ৪২টি ছাগল নিয়ে এসেছেন। উজ্জ্বল বলেন, ‘এখন পর্যন্ত তিনিটি ছাগল বিক্রি করেছি। বাকীগুলো হাটের নিদিষ্ট সময়ের মধ্যে বিক্রি করে ফেলতে পারবো |
রাজধানীতে ছোট-মাঝারি গরুর চাহিদা বেশী | ’ দাম কেমন জানতে চাইলে বলেন, ‘দাম ঠিকই আছে আল্লাহ’র রহমত। ’হাটে আসা আব্দুর রহমান নামের এক ক্রেতা বলেন, এখনো কিনতে পারিনি। তবে দরদাম চলছে। বিক্রেতারা মনে করছেন পরে আরো বেশী দাম বিক্রি করবেন |
রাজধানীতে ছোট-মাঝারি গরুর চাহিদা বেশী | আর আমরা মনে করছি পরে আরো কম দামে কিনবো। তাই প্রথমদিন তুলনামূলক বিক্রি কম হচ্ছে বলে মনে হয়। ’পাবনা সদর থেকে নজরুল ইসলাম নামের এক ব্যবসায়ী জানালেন, বৃহস্পতিবার ১০টি গরু নিয়ে হাটে এসেছেন। এখন পর্যন্ত একটি গরুও বিক্রি করতে পারেননি |
রাজধানীতে ছোট-মাঝারি গরুর চাহিদা বেশী | তবে আশাবাদী কাল থেকে ক্রেতা সমাগম বাড়লে বিক্রি শুরু হবে।সজিব হোসেন নামের এক গরুর মালা বিক্রেতা বলেন, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার মালা বিক্রি হচ্ছে না। করোনার কারণে মূলত মালা-টালা মানুষ নিচ্ছে না মনে হয়। ’উত্তরার ১৭ নং সেক্টর হাটের হাসিল বুথে দায়িত্বপ্রাপ্ত আশিকুর রহমান বলেন, এখন পর্যন্ত যতগুলো গরু বিক্রি হয়েছে, এরমধ্যে মাঝারি সাইজের বেশী |
রাজধানীতে ছোট-মাঝারি গরুর চাহিদা বেশী | জটলা কমাতে এবং স্বাস্থ্যবিধি পর্যবেক্ষণে শতাধিক স্বেচ্ছাসেবী ও ভলান্টিয়ার কাজ করছেন বলে জানান তিনি।সন্ধ্যা সাতটার দিকে হাটের ইজারাদার নূর হোসেন বলেন, প্রথমদিন ক্রেতারা তেমন নামেনি। তাই বিক্রি কম হয়েছে। আনুমানিক দেড় শর মতো পশু বিক্রি হয়েছে বলে ধারণা করছি |
রাজধানীতে ছোট-মাঝারি গরুর চাহিদা বেশী | আশা করি রবিবার থেকে ক্রেতা সমাগম বাড়বে। এ ছাড়া আমাদের হাটে সার্বক্ষণিক ক্রেতা-বিক্রেতাদের বিভিন্ন বিষয়ে সতর্ক করছি। মাস্ক দিচ্ছি, তাদের জটলা হতে দিচ্ছি না ও জাল নোট শনাক্তের ব্যবস্থা রেখেছি। ’ |
শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রীকে আম উপহার পাঠালেন শেখ হাসিনা | শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপক্ষকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহারের আম হস্তান্তর করা হয়েছে।আজ শ্রীলঙ্কায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার তারেক মো. আরিফুল ইসলাম দেশটির প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপক্ষের কাছে শেখ হাসিনার উপহারের আম হস্তান্তর করেন।এ সময় শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান। এ উপহার দু’দেশের বন্ধুত্বের প্রতীক হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত, নেপাল, ভুটান, মালদ্বীপসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানকে আম উপহার পাঠিয়েছেন। |
ঢাকা উত্তরে মশা বিস্তার রোধে অভিযান, ২৯ হাজার টাকা জরিমানা | ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) এলাকায় আজ এডিস মশা, ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া বিস্তার রোধকল্পে মোবাইল কোর্টে ৯টি মামলায় সর্বমোট ২৯ হাজার ৩০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।আজ শনিবার ডিএনসিসির ১ নম্বর অঞ্চলের ২ নং ওয়ার্ডে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ জুলকার নায়ন পরিচালিত মোবাইল কোর্টে ৩টি মামলায় ৮ হাজার টাকা এবং ৩ নম্বর অঞ্চলের ১০ নং ওয়ার্ডে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল বাকী পরিচালিত মোবাইল কোর্টে ৬টি মামলায় ২১ হাজার ৩০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এভাবে মোট ৯টি মামলায় আদায়কৃত জরিমানার সর্বমোট পরিমাণ ২৯ হাজার ৩০০ টাকা।এসময় মাইকিং করে জনসচেতনতামূলক বার্তা প্রচার করা হয় এবং সকলকে এডিস মশা এবং ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধে ডিএনসিসি মেয়রের আহবান “তিন দিনে একদিন, জমা পানি ফেলে দিন” মানার পাশাপাশি ও করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সরকারি নির্দেশনাসহ স্বাস্থ্যবিধিসমূহ যথাযথভাবে মেনে চলার পরামর্শ দেয়া হয় বলে জানিয়েছে ডিএনসিসি। |
রাজধানীতে নতুন উদ্বেগ ডেঙ্গু, এক দিনে ভর্তি ৮০ | দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ৮১ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৮০ জনই রাজধানীর বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। যা চলতি বছর ঢাকায় একদিনে সর্বোচ্চ ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী শনাক্তে রেকর্ড।আজ শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের স্বাস্থ্য তথ্য ইউনিটের (এমআইএস) সহকারী পরিচালক ও হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন অ্যান্ড কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডা. কামরুল কিবরিয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন |
রাজধানীতে নতুন উদ্বেগ ডেঙ্গু, এক দিনে ভর্তি ৮০ | বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে দেশের হাসপাতালে নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন ৮১ জন। এদের মধ্যে ৮০ জন ঢাকার এবং ১ জন ঢাকার বাইরের।বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে সর্বমোট ৩৩৬ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকার ৪১টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে সর্বমোট ৩৩১ জন এবং অন্যান্য বিভাগে বর্তমানে ৫ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন |
রাজধানীতে নতুন উদ্বেগ ডেঙ্গু, এক দিনে ভর্তি ৮০ | উল্লেখ্য, চলতি বছরের জুলাই মাসে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ সংখ্যাক ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে। এ বছরের আর কোনো মাসে এত ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী পাওয়া যায়নি। শুধু জুলাই মাসেই এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ৭৬৭ জন। এদের মধ্যে ৯৯ শতাংশই ঢাকার বাসিন্দা। |
হকার্স ইউনিয়নগুলোকে ঈদ উপহার দিলো বসুন্ধরা গ্রুপ | দেশব্যাপী সংবাদপত্র পৌঁছে দেওয়ার কারিগর হকার্স ইউনিয়নগুলোকে ঈদ উপহার দিলো বসুন্ধরা গ্রুপ। আজ শনিবার দুপুরে নিজ বাসভবনে সংগঠনগুলোর নেতাদের হাতে এ উপহার তুলে দেন বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীর।উপহার গ্রহণ করেন, ঢাকা সংবাদপত্র হকার্স বহুমুখী সমবায় সমিতির সভাপতি আব্দুল মান্নান, সংবাদপত্র হকার্স কল্যাণ বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেডের সেক্রেটারি হাজী মো. শাহাবুদ্দিন, পত্র-পত্রিকা বিতরণকারী বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেডের সার্কুলেশন ম্যানেজার সাদেকুল ইসলাম ও বাংলাদেশ সংবাদপত্র এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আলী।এ সময় উপস্থিত ছিলেন দৈনিক কালের কণ্ঠের সম্পাদক ও ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের পরিচালক ইমদাদুল হক মিলন, বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক ও নিউজ টোয়েন্টিফোরের সিইও নঈম নিজাম, ডেইলি সান পত্রিকার সম্পাদক এনামুল হক চৌধুরী, বাংলানিউজটোয়েন্টিফোরের সম্পাদক জুয়েল মাজহারসহ আরো অনেকে। ঈদ উপহার প্রদান শেষে দেশের পত্রিকার উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা ও ঈদের অগ্রীম শুভেচ্ছা জানান বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীর। |
পোশাক খাতকে জড়িয়ে আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় নেতিবাচক প্রচারণা | নারায়গঞ্জের রুপগঞ্জে সজীব গ্রুপের প্রতিষ্ঠান হাসেম ফুডসের অগ্নিকাণ্ড অবলম্বন করে দেশের পোশাক খাতের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক প্রচারণা হচ্ছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশে বস্ত্র ও পোশাক খাতের দুটি প্রতিষ্ঠান। উদ্যোক্তারা বলছেন, হাসেম ফুডসের অগ্নিকাণ্ডের সঙ্গে বস্ত্র ও পোশাক খাতকে জড়িয়ে আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় নেতিবাচক প্রচারণা চালানো হচ্ছে। এ বিষয়ে কূটনৈতিক তৎপরতা বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন তারা।যুক্তরাষ্টের নিউইয়র্ক টাইমসে গত ৯ জুলাই ‘ ডজনস ডাই অ্যাজ অ্যানাদার ফ্যাক্টরি ফায়ারস স্টাইকস বাংলাদেশ’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয় |
পোশাক খাতকে জড়িয়ে আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় নেতিবাচক প্রচারণা | হাসেম ফুডসের অগ্নিকান্ডের সঙ্গে তৈরি পোশাক খাতকেও জড়ানো হয়েছে। এতে তৈরি পোশাক কারখানার আগের দুর্ঘটনার উল্লেখ করে বলা হয়, এখনও অনেক কারখানায় ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশ রয়েই গেছে।অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা সাধারণ ঘটনায় পরিণত হয়েছে। এ বিষয়ে নিউইয়র্ক টাইমসে পাঠানো প্রতিবাদপত্রে বিজিএমইএ বলেছে, বিষয়টি সম্পূর্ণ অসত্য |
পোশাক খাতকে জড়িয়ে আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় নেতিবাচক প্রচারণা | এতে বাংলাদেশের পোশাক খাতের প্রতি আন্তর্জাতিক মহলে ভুল ধারনার জন্ম দেবে। কারণ হাসেম ফুডসের অগ্নিকাণ্ড তৈরি পোশাক খাতের সঙ্গে কোনোভাবেই সম্পর্কিত নয়। তবে আজ শনিবার পর্যন্ত প্রতিবাদ প্রকাশ করেনি পত্রিকাটি।বিজিএমইএ বলেছে, গত আট বছরে নিরবচ্ছিন্ন সংস্কারের ফলে বাংলাদেশের পোশাক খাত এখন সারা বিশ্বে নিরাপদ পোশাক কারখানার রোল মডেল |
পোশাক খাতকে জড়িয়ে আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় নেতিবাচক প্রচারণা | বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিবেদনে সেই স্বীকৃতিও আছে।এদিকে আজ শনিবার সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় অনুষ্ঠানে বস্ত্রকল মলিকদের সংগঠন বিটিএমএর পক্ষ থেকেও পোশাক খাত বিরোধী আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তোলা হয়েছে। রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিটিএমএর পরিচালক মনির হোসেন বলেন, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস পত্রিকায় হাসেম ফুডসের কারখানার অগ্নিকাণ্ড এবং হতাহতের প্রতিবেদনের প্রতিক্রিয়ায় কেউ কেউ বাংলাদেশের পোশাক খাতের বিরোধী প্রচারণার সুযোগ নিয়েছেন।প্রতিবেদনের ওপর মন্তব্যে কেউ কেউ বাংলাদেশের শুল্কমুক্ত রপ্তানি সুবিধা বা জিএসপি প্রত্যাহারের দাবি করেছে |
পোশাক খাতকে জড়িয়ে আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় নেতিবাচক প্রচারণা | বিটিএমএর পরিচালক বলেন, এসব অপপ্রচার বাংলাদেশের পোশাক খাতবিরোধী ষড়যন্ত্রেরই অংশ। কারণ, হাসেম ফুডসের অগ্নিদুর্ঘটনার সঙ্গে পোশাক খাতের কোনো সম্পর্ক নেই।বিটিএএমএ সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকনের এক বিবৃতিতে বলা হয়, হাসেম ফুডসের দুঃখজনক অগ্নিদুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে একটি মহল অসত্য তথ্য দেশি-বিদেশি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচারের মাধ্যমে রপ্তানিমুখী পোশাক শিল্পের ভাবমূর্তি বিনষ্ট করতে লিপ্ত রয়েছে। অথচ কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ এবং দুই ত্রেতাজোট অ্যাকর্ড এবং অ্যালায়েন্সের তত্ত্বাবধানে সংস্কার কার্যক্রমের ফলে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের নিরাপত্তা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। এ ধরনের প্রচারনার উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং দুঃখজনক। এদের চিহ্নিত করে তাদের অপতৎপরতা বন্ধে সরকারের কাছে বিশেষ অনুরোধ জানান তিনি। |
এবার ১০ ই-কমার্সে লেনদেন বন্ধ করল বিকাশ | ইভ্যালি, আলেশা মার্টসহ ১০টি ই–কমার্স প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বিকাশে লেনদেন করা যাবে না। শনিবার নিজস্ব ওয়েবসাইটে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সাময়িকভাবে এ সেবা বন্ধ করার কথা জানিয়েছে বিকাশ কর্তৃপক্ষ। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গ্রাহকের স্বার্থ সুরক্ষায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে ইভ্যালি, আলেশা মার্ট, ধামাকা শপিং, ই-অরেঞ্জ, সিরাজগঞ্জ শপ, নিডস, কিউকুম, আলাদিনের প্রদীপ, আদিয়ান মার্ট ও বুম বুম |
এবার ১০ ই-কমার্সে লেনদেন বন্ধ করল বিকাশ | জানতে চাইলে বিকাশের যোগাযোগ বিভাগের প্রধান শামসুদ্দিন হায়দার কালের কণ্ঠকে বলেন, ই-কমার্সের ক্ষেত্রে রেগুলেটর প্রদত্ত পেমেন্ট বিষয়ক নীতিমালাগুলো কার্যকর করতে আমরা নিবিড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছি। এই সময়ে গ্রাহকদের স্বার্থেই কিছু মার্চেন্টের জন্য বিকাশের পেমেন্ট গেটওয়ে সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। রেগুলেটরের নীতিমালা অনুযায়ী পেমেন্ট সিস্টেম কার্যকর হলে বিকাশ পেমেন্ট গেটওয়ে আবারো চালু করা হবে।এর আগে গত ২২ জুন এই ১০ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গেই ক্রেডিট, ডেবিট ও প্রি-পেইড কার্ডের মাধ্যমে কেনাকাটাসংক্রান্ত চুক্তি বাতিল করে ব্র্যাক ব্যাংক। ২৩ জুন ব্যাংক এশিয়া ও ঢাকা ব্যাংক এবং ২৪ জুন মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকও গ্রাহকের স্বার্থের কথা বলে একইভাবে ওই সব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে তাদের কার্ড ব্যবহার স্থগিত করে। |
বিএনপি নেতা সাবেক এমপি খুররম খান চৌধুরী আর নেই | করোনাভাইরাসে (কভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন চার বারের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) বীর মুক্তিযোদ্ধা ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপি আহবায়ক খুররম খান চৌধুরী ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না-লিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)।আজ শনিবার বিকাল ৫ টা ৪৫ মিনিটে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন।এর আগে সাবেক এমপি খুররম খানকে গত ৮ জুলাই ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। পরে করোনা পরীক্ষায় তার রিপোর্ট পজিটিভ আসে |
বিএনপি নেতা সাবেক এমপি খুররম খান চৌধুরী আর নেই | মৃত্যুকালে বিদেশে যুক্তরাষ্ট্রে একমাত্র ছেলে নাসের খান চৌধুরী অস্ট্রেলিয়া একমাত্র মেয়ে মাফরিহীন খান চৌধুরী ও খুররম খান-এর মিসেস হাসিনা খান চৌধুরীসহ নাতিনাতনি অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গিয়েছেন।খুররম খানের মৃত্যুর খবর পেয়ে তাঁর মেয়ে অস্ট্রেলিয়া থেকে ঢাকার উদ্দেশ্য যাত্রা করেছেন।খুররম খানের মৃত্যুতে বিএনপি মহাসচিব শোক জানিয়ে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেছেন। |
ঈদের দিন যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ | পবিত্র ঈদুল আজহার দিন দেশের সব যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকবে। আজ শনিবার (১৭ জুলাই) বাংলাদেশ রেলওয়ের পরিচালন বিভাগের উপ পরিচালক রেজাউল হক কালের কণ্ঠকে নিশ্চিত করেছেন।তিনি বলেছেন, আগামী ২০ জুলাই একতা, নীলসাগর, রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনসমূহ চলাচল বন্ধ থাকবে। ২১ জুলাই সব যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকবে। ২২ জুলাই একতা, সুন্দরবন, নীলসাগর, রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনসমূহ চলাচল বন্ধ থাকবে।এ ছাড়া বাংলাদেশ রেলওয়ের পরিচালন বিভাগের অতিরিক্ত মহা পরিচালক সরদার শাহাদাত আলীও বিষয়টি কালের কণ্ঠকে নিশ্চিত করেছেন। |
দেশের পথে চীনের ১০ লাখ টিকা | করোনাভাইরাস (কভিড-১৯) ঠেকাতে চীন থেকে কেনা সিনোফার্মের ১০ লাখ টিকা নিয়ে বেইজিং থেকে দেশের পথে রওনা দিয়েছে একটি বিমান।বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকার চীনা দূতাবাস ডেপুটি চিফ অব মিশন হুয়ালং ইয়ান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দিয়েছেন।তিনি জানান, চীন থেকে বাণিজ্যিকভাবে কেনা ১০ লাখ সিনোফার্ম ভ্যাকসিনের প্রথম ব্যাচসহ একটি বিমান আজ পৌনে সাতটায় (বাংলাদেশ সময়) বেইজিং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছেড়েছে।তিনি আরো জানান, ১০ লাখ টিকার দ্বিতীয় ব্যাচ রাত পৌনে ১০টায় বেইজিং থেকে রওনা দেবে। |
'ক্যাটল স্পেশাল' ট্রেনের যাত্রা শুরু | ঈদুল আযহা উপলক্ষে কোরবানির পশু পরিবহনের জন্য 'ক্যাটল স্পেশাল' ট্রেনের যাত্রা শুরু করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।আজ শনিবার বিকের সাড়ে ৪টায় রাজশাহীর চাপাইনবাবগঞ্জ থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ট্রেনটি ছেড়ে আসে। রাত সাড়ে ৩টায় ট্রেনটির ঢাকায় পৌঁছানোর কথা।প্রথম দিনের এই ট্রেনে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে চারটি ওয়াগনে মোট ৮০টি গরু বুক করা হয়েছে |
'ক্যাটল স্পেশাল' ট্রেনের যাত্রা শুরু | ভাড়া বাবদ রেল আদায় হয়েছে ৪৭ হাজার ৩২০ টাকা। রাজশাহী স্টেশন থেকে ১টি ওয়াগনে ২০ গরু বুক হয়েছে। ভাড়া আদায় হয়েছে ১১ হাজার ৩৮০ টাকা। বড়াল ব্রীজ স্টেশনে ১টি ওয়াগনে ১০০টি ছাগল বুক হয়েছে |
'ক্যাটল স্পেশাল' ট্রেনের যাত্রা শুরু | ভাড়া আদায় হয়েছে ৯ হাজার ২৩০ টাকা।বাংলাদেশ রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক মিহির কান্তি গুহ রাজশাহী স্টেশন থেকে এই ট্রেনের উদ্বোধন করেন। তিন দিনের এই বিশেষ ট্রেন সেবা সোমবার পর্যন্ত চালু থাকবে। |
সংসদ সদস্য মাজাহারুল হক করোনায় আক্রান্ত | পঞ্চগড়-১ আসনের সংসদ সদস্য মো. মাজাহারুল হক প্রধান করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। আজ শনিবার (১৭ জুলাই) দুপুরে জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. ফজলুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।সিভিল সার্জন জানান, সর্দি ও মাথাব্যথা অনুভব করলে ওই সংসদ সদস্যের বাড়িতে গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করে অ্যান্টিজেন পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষায় তার করোনা শনাক্ত হয় |
সংসদ সদস্য মাজাহারুল হক করোনায় আক্রান্ত | তিনি আরও জানান, বর্তমানে সংসদ সদস্য সুস্থ রয়েছেন। তার উপসর্গ থাকলেও আশঙ্কার কিছু নেই। তাকে হোম আইসোলেশনে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।সংশ্লিষ্টরা জানান, এমপি মাজহারুল হক প্রধান গত কয়েকদিন নির্বাচনি এলাকায় বিভিন্ন জায়গায় ত্রাণ বিতরণ করেছেন। তাকে জনসমাগম এড়িয়ে চলার পরামর্শও দেওয়া হয়েছিলো। |
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র ৩৩,৫০০ পরিবারে খাদ্য উপহার বিতরণ করেছে | করোনা মহামারী ২০২০ সালে শুরু হওয়ার পর হতে ২০২১ সালের আজ পর্যন্ত গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র সারাদেশে অসহায়, কর্মহীন, রিকসা, ভ্যান চালক, বেকার শ্রমিক ও শ্রমজীবী মানুষের মাঝে ৩৩ হাজার ৫ শত পরিবারের মাঝে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দিয়েছে।আজ শনিবার (১৭ জুলাই) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এ তথ্য জানায় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র। এ সময় উপস্থিত ছিলেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ডা: মনজুর কাদির, গণমাধ্যম উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু, মানবসম্পদ বিভাগের সহকারী কর্মকর্তা শাহনাজ পারভীন ও সাংবাদিকদের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কবি হাসান হাফিজ, সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, ফটো সাংবাদিক এসোসিয়েশন সাধারণ সম্পাদক কাজল হাজরা প্রমুখ।গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র জানায়, শুধু গত এক সপ্তাহে ঈদুল আযহা উপলক্ষে ৩ হাজার ৫ শত পরিবারকে খাদ্য উপহার দেওয়া হয়েছে |
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র ৩৩,৫০০ পরিবারে খাদ্য উপহার বিতরণ করেছে | তার মধ্যে-১৪ জুলাই ঢাকা-উত্তর সিটি এলাকার তেজগাঁও থানা, মহাখালী ৭ তলা বস্তি, বনানী থানা, করাইল বস্তি, বাড্ডা সাতারকূল, রামপুরা থানা, ঢাকা দক্ষিণ সিটি এলাকার যাত্রাবাড়ী থানা, মীরাজীবাগ এলাকা ও দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ রিভারভিউ চেকপোস্ট এলাকায় এক হাজার অসহায় পরিবারের মাঝে করোনাকালীন ত্রাণ বিতরণ করা হয়।আজ ১৭ জুলাই জাতীয় প্রেস ক্লাবে ও ফটো সাংবাদিক এসেসিয়েশনে ২৫০ প্যাক, শনির আখড়া ও বাসাবোতে ২৫০ প্যাক, কাফরুলে ২০০ প্যাক, বগুড়া সায়াকান্দিতে ২৫০ প্যাক, পঞ্চগড়ে ২০০ প্যাক, নোয়াখালীতে ২০০ প্যাক, ধানমন্ডিসহ অন্যান্য এলাকা মিলে মোট তিন হাজার পাঁচশত প্যাক বিতরণ করা হয়।এসময় উপস্থিত গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ডা: মনজুর কাদির বলেন, গণস্বাস্থ্যের খাদ্য সহায়তা আগামীতে চলবে। দুঃখী মানুষের দুর্দশা লাঘবে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ত্রাণ তহবিলে বিত্তবানসহ যেকোন মানুষ সাহায্য করতে পারেন। আপনারা নিজে দান করুন, অন্যকে দান করতে দান করতে উৎসাহিত করুন। |
গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি নেই, চলছে ভাড়া নৈরাজ্য | করোনা স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না গণপরিবহনের শ্রমিক মালিকরা। উল্টো সারাদেশে চলছে ভাড়া নৈরাজ্য। ৬০ শতাংশ অতিরিক্ত ভাড়ার পরিবর্তে কোথাও কোথাও দ্বিগুণেরও বেশি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। অথচ স্বাস্থ্যবিধির নামে শুধু মাস্কটাই পরছেন গণপরিবহনের শ্রমিকরা |
গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি নেই, চলছে ভাড়া নৈরাজ্য | অর্ধেক আসনে যাত্রী নিয়ে চলাচল করা। গণপরিবহন চালুর আগে এবং শেষ গন্তব্যে পৌছানো পর জীবাণুনাশক ছিটিয়ে গাড়ি জীবাণু মুক্ত করা। যাত্রীদের হাতে জীবাণুনাশক দেয়ার মতো নির্দেশনাগুলো একেবারেই মানা হচ্ছে না।গত বৃহস্পতি ও শুক্রবার সারাদেশের গণপরিবহনের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে এমন কথা বলছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি |
গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি নেই, চলছে ভাড়া নৈরাজ্য | আজ শনিবার সংগঠনটির প্রকাশিত পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে গণপরিবহনের এমন চিত্র তুলে ধরা হয়।পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে বলা হয়, বেশিরভাগ গণপরিবহন আসনভর্তি করে যাত্রী বোঝাইয়ের পাশাপাশি অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য চালাচ্ছে। সরকার গণপরিবহনের ৬০ শতাংশ বর্ধিত ভাড়া আদায়ের নির্দেশনা দিলেও কোন কোন গনপরিবহনে ৩০০ থেকে ৫০০ শতাংশ পর্যন্ত বর্ধিত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে।রাজধানীর অভ্যন্তরীণ রুটে মিরপুর-১০ থেকে নীলক্ষেত সরকার নির্ধারিত বাস ভাড়া ১৫ টাকা |
গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি নেই, চলছে ভাড়া নৈরাজ্য | করোনা সংকটে ৬০ শতাংশ বর্ধিত ভাড়ায় এই পথে ২৬ টাকা ভাড়া আদায় করা হতো। গত দুইদিন এই পথে ৪০ টাকা ভাড়া আদায় করা হয়েছে। একই পথে সিএনজি অটোরিকশায় স্বাভাবিক সময়ে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা ভাড়া আদায় করা হলেও গত দুইদিন যাবত ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত ভাড়া আদায় করা হয়েছে। রাজধানীর গাবতলী মাজার রোড থেকে বাংলামোটর পর্যন্ত সিটি সার্ভিসের ৮ নম্বর বাসে নিয়মিত ১৫ টাকা বাস ভাড়া আদায় করা হয় |
গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি নেই, চলছে ভাড়া নৈরাজ্য | এখন ২৪ টাকা আদায়ের কথা থাকলেও গত দুইদিন ধরে এই পথে ৩০ টাকা করে ভাড়া আদায় করা হয়েছে। বিআরটিসি বাসে কাকলী থেকে বাংলামোটর নিয়মিত ১২ টাকা ভাড়া আদায়ের স্থলে ২০ টাকা আদায়ের কথা থাকলেও এই পথে ৩০ টাকা ভাড়া নেয়া হচ্ছে। ফার্মগেট থেকে মতিঝিল, ফার্মগেট থেকে গুলিস্থান নিয়মিত ১০ টাকার ভাড়া আদায়ের স্থলে ১৬ টাকা আদায়ের কথা হলেও এই পথে গত দুইদিনে ২০ টাকা ভাড়া আদায় করতে দেখা গেছে।এদিকে চট্টগ্রাম মহানগরীর অক্সিজেন মোড় থেকে নাজিরহাট পর্যন্ত স্বাভাবিক সময়ে ৩৫ টাকা বাস ভাড়া গত দুইদিনের বেলায় ৭০ টাকা এবং সন্ধ্যার পর ১০০ টাকা পর্যন্ত আদায় হয়েছে |
গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি নেই, চলছে ভাড়া নৈরাজ্য | চট্টগ্রাম মহানগরীর শাহ আমানত সেতু থেকে পটিয়া স্বাভাবিক সময়ে ২৫ টাকার বাস ভাড়া গত দুইদিন দিনের বেলায় ৫০ টাকা সন্ধ্যার পর থেকে ১০০ টাকা আদায় হয়েছে। এই পথে শাহ আমানত সেতু থেকে চকরিয়া স্বাভাবিক সময়ে ১০০ টাকার বাস ভাড়া গত দুইদিন যাবত ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা হারে আদায় হয়েছে। এসব পথে দ্বিগুণ যাত্রী বোঝায় করে যাতায়াত করেছে প্রতিটি বাস-মিনিবাস।প্রায় একই চিত্র দেশের অন্য সব বাস রুটে জানিয়ে যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, 'করোনা সংকটে পতিত দেশের সাধারণ মানুষের উপর গণপরিবহনগুলোর এহেন অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের জুলুম থেকে মুক্তি দিতে পরিবহন মালিক, শ্রমিক ও সরকারের সংশ্লিষ্টদের প্রতি অনুরোধ করছি। ' |
আবরারের মৃত্যু: প্রথম আলোর কাছে ১০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে রিট | ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজের শিক্ষার্থী নাইমুল আবরার রাহাতের মৃত্যুর ঘটনায় দৈনিক প্রথম আলোর কাছে একশ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে কলেজের পক্ষ থেকে হাইকোর্টে রিট আবেদন দাখিল করা হয়েছে। রিট আবেদনে কলেজের জন্য ৫০ কোটি টাকা আর নিহত আবরারের পরিবারের জন্য ৫০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চাওয়া হয়েছে। প্রতিষ্ঠানের পক্ষে কলেজ অধ্যক্ষর করা এ রিট আবেদনটির ওপর শুনানি মূলতবি করা হয়েছে। আদালত বলেছেন, শুধুই কলেজ নয়, ভিকটিমের (নিহত আবরার) পরিবারকে আদালতে আসতে হবে |
আবরারের মৃত্যু: প্রথম আলোর কাছে ১০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে রিট | বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ শুনানি মূলতবি করে ১৫ জুলাই আদেশ দেন। রিট আবেদনকারীপক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট এস এম আবদুর রউফ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।এর আগে আবরারের পরিবারের জন্য ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে কলেজটির সাবেক এক শিক্ষার্থী ওবায়েদ আহমেদ ২০১৯ সালের ১৪ নভেম্বর পৃথক একটি রিট আবেদন দাখিল করেন |
আবরারের মৃত্যু: প্রথম আলোর কাছে ১০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে রিট | ওই রিট আবেদনটির ওপর শুনানি মূলতবি করেন একই আদালত। তখনও আদালত বলেছিলেন, আবরারের পরিবার যদি ক্ষতিপূরণ চেয়ে কোনো আবেদন করে তবে বিষয়টি বিবেচনা করা হবে। কিন্তু ওই রিট আবেদনকারীরা আবরারের পরিবারকে ক্ষতিপূরণের জন্য আদালতে আনতে পারেনি। ফলে ওই রিট আবেদনটির আর শুনানি হয়নি |
আবরারের মৃত্যু: প্রথম আলোর কাছে ১০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে রিট | এ অবস্থায় কলেজ কর্তৃপক্ষ নতুন করে রিট আবেদন দাখিল করলো। গত জুনে এই রিট আবেদন দাখিল করা হয় বলে জানান আইনজীবী।অ্যাডভোকেট এস এম আবদুর রউফ জানান, সারা পৃথিবীতে ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজের সুনাম রয়েছে। কিন্তু ওই ঘটনায় কলেজটির সুনাম ক্ষুন্ন হয়েছে |
আবরারের মৃত্যু: প্রথম আলোর কাছে ১০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে রিট | দেশের অভিভাবকসহ সাধারণ মানুষের ধারণা ওই দুর্ঘটনায় কলেজ কর্তৃপক্ষেরও অবহেলা রয়েছে। কিন্তু তা নয়। কলেজ কর্তৃপক্ষ প্রথম আলোর সঙ্গে অনুষ্ঠানের যে চুক্তি করে তাতে কার কি দায়দায়িত্ব তা উল্লেখ রয়েছে। সেখানে বৈদ্যুতিক ব্যবস্থার দায়িত্ব ছিল প্রথম আলোর আয়োজকদের |
আবরারের মৃত্যু: প্রথম আলোর কাছে ১০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে রিট | তিনি বলেন, প্রথম আলোর দায়িত্বহীন কর্মকান্ডের কারণে কলেজের সুনাম ক্ষন্ন হয়েছে। একারণে কলেজের জন্য ৫০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চাওয়া হয়েছে। আর নিহত আাবরারের পরিবারের জন্য ৫০ কোটি টাকা চাওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, একটি ছাত্রের আইনগত অভিভাবক হলো তার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান |
আবরারের মৃত্যু: প্রথম আলোর কাছে ১০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে রিট | আর পিতা তার পিতা হলো প্রকৃতিগত অভিভাবক। একারণেই কলেজ কর্তৃপক্ষ এই রিট আবেদন দাখিল করেছে। তিনি বলেন, নিয়মিত আদালত খোলার পর আবেদন সংশোধন করা হবে। কলেজের পাশাপাশি আবরারের পিতাকেও আবেদনকারী করা হবে |
আবরারের মৃত্যু: প্রথম আলোর কাছে ১০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে রিট | এরপর শুনানির জন্য রিট আবেদনটি উপস্থাপন করা হবে।গত ১৫ জুলাই রিট আবেদনটি হাইকোর্টে শুনানির জন্য উপস্থাপন করা হয়। কলেজের পক্ষে আইনজীবী রিট আবেদনের বিষয় উপস্থাপন করলে আদালত বলেন, কলেজ কর্তৃপক্ষ তাদের দায় এড়ানোর জন্য কি এই রিট আবেদন করেছে? ওই ঘটনায় তাদের কি কোনো দায় নেই? জবাবে আইনজীবী বলেন, এখানে কলেজের কোনো গাফিলতি নেই। একারণে ওই ঘটনায় কলেজের কোনো দায় নেই |
আবরারের মৃত্যু: প্রথম আলোর কাছে ১০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে রিট | এসময় তিনি রুল জারির জন্য আদালতের কাছে আবেদন করলে আদালত কোনো আদেশ দিতে অস্বীকৃতি জানান। আদালত বলেন, মারা গেছে যে ছাত্র। তার পরিবারের কেউ আবেদনকারী নয়। আইনজীবী বলেন, ৫০ কোটি টাকা কলেজের জন্য আর ৫০ কোটি টাকা ভিকটিমের পরিবারের জন্য চাওয়া হয়েছে |
আবরারের মৃত্যু: প্রথম আলোর কাছে ১০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে রিট | এসময় আদালত বলেন, ভিকটিমের পরিবারের কেউ আসলে দেখা যাবে। এসময় আইনজীবী ভিকটিমের পিতাকে আবেদনকারী করার জন্য সময় আবেদন জানান এবং রিট আবেদনটি মূলতবি রাখার আরজি জানান। এরপর আদালত শুনানি মুলতবির আদেশ দেন।ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজে দৈনিক প্রথম আলোর সাময়িকী কিশোর আলোর উদ্যোগে ২০১৯ সালের পহেলা নভেম্বর শিক্ষার্থীদের এক অনুষ্ঠান হয় |
আবরারের মৃত্যু: প্রথম আলোর কাছে ১০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে রিট | এই অনুষ্ঠানে নাইমুল আবরার রাহাত বিদ্যুৎস্পৃষ্ঠ হয়ে মারা যায়। এ ঘটনার জন্য আয়োজকদের অব্যবস্থাপনাকে দায়ী করে শিক্ষার্থীরা। পরবর্তীতে এ ঘটনায় আবরারের পিতা মজিবুর রহমান বাদী হয়ে ওইবছরের ৬ নভেম্বর ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে মামলা করেন। এই মামলায় গতবছর ১৬ জানুয়ারি ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর হাকিম আদালত মতিউর রহমানসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। মতিউর রহমান হাইকোর্ট থেকে জামিন নেন। আর অন্যরা নিম্ন আদালত থেকে জামিন পান। |
পশুর হাটে স্বাস্থ্যবিধি না মানলে কঠোর ব্যবস্থা: মেয়র | ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম বলেছেন, কোরবানীর পশুর হাটগুলোতে সরকারী নির্দেশনাসহ স্বাস্থ্যবিধিসমূহ যথাযথভাবে প্রতিপালন না করলে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।আজ শনিবার দুপুরে গুলশানের নগর ভবনে আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে ডিএনসিসি এলাকায় স্থাপিত ১টি স্থায়ী ও ৮টি অস্থায়ী মোট ৯টি পশুর হাট ইজারার কার্যাদেশের শর্তাবলী যথাযথভাবে প্রতিপালনসহ সার্বিক তত্বাবধানের জন্য গঠিত মনিটরিং টীমের সাথে এক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ইতোমধ্যে ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোঃ মফিজুর রহমানকে আহ্বায়ক করে ১৫ সদস্যের একটি মনিটরিং টীম গঠণ করে দেয়া হয়েছে যাতে ১৩ জন কাউন্সিলর এবং ২ জন ভেটেরিনারি কর্মকর্তাও রয়েছেন।মোঃ আতিকুল ইসলাম বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের আওতাভুক্ত প্রত্যেকটি পশুর হাটেই সরকারী নির্দেশনাসহ স্বাস্থ্যবিধিসমূহ প্রতিপালনে ডিএনসিসির দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হচ্ছে |
পশুর হাটে স্বাস্থ্যবিধি না মানলে কঠোর ব্যবস্থা: মেয়র | তিনি বলেন, প্রতিটি হাটেই শক্তি ফাউন্ডেশন এর পক্ষ থেকে ২ শত প্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবক, ২ শত গেঞ্জী এবং পর্যাপ্ত সংখ্যক মাস্ক দেয়া হয়েছে। এছাড়াও ইজারাদারদের পক্ষ থেকে সকল হাটেই হ্যান্ড স্যানিটাইজারসহ স্বাস্থ্য সুরক্ষায় প্রয়োজনীয় অন্যান্য সামগ্রী সরবরাহ করা হয়েছে।ডিএনসিসি মেয়র বলেন, জীবনের পশুর হাটগুলোতে সামাজিক দূরত্ব যথাযথভাবে বজায় রাখতে হবে, ক্রেতা এবং বিক্রেতা উভয়কে মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে।মোঃ আতিকুল ইসলাম বলেন, করোনা ভাইরাসের বিস্তার রোধকল্পে সশরীরে কোরবানীর পশুর হাট এড়ানোর লক্ষ্যেই “ডিএনসিসি ডিজিটাল হাট-২০২১" এর আয়োজন করা হয়েছে।তিনি আরও বলেন, নিজের পরিবারসহ শহর ও দেশকে সুরক্ষিত রাখার জন্য কোভিড-১৯ এর বিস্তার রোধকল্পে আমাদের সকলকেই সরকারী নির্দেশনাসহ স্বাস্থ্যবিধিসমূহ যথাযথভাবে মেনে চলতে হবে।আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সেলিম রেজা এবং শক্তি ফাউন্ডেশনের ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ইমরান আহমেদ উপস্থিত ছিলেন। |
এবারের লকডাউনে ২৩ নির্দেশনা, বন্ধ গার্মেন্ট-কারখানা | ঈদ পরবর্তী লকডাউন কঠোর থেকে কঠোরতম হবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। ২৩ জুলাই থেকে কঠোর লকডাউনের আওতায় আসবে গোটা দেশ। টানা ১৪ দিন স্থায়ী হবে এই লকডাউন।আজ শনিবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবির সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত বিজিবির ৯৬তম রিক্রুট ব্যাচের সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন |
এবারের লকডাউনে ২৩ নির্দেশনা, বন্ধ গার্মেন্ট-কারখানা | আগামী ২৩ জুলাই সকাল ছয়টা থেকে আগামী ৫ আগস্ট পর্যন্ত কঠোর লকডাউনে গার্মেন্টসসহ সকল ধরনের শিল্প-কারখানা বন্ধ থাকবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী।গত মঙ্গলবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ প্রজ্ঞাপন জারি করে জানায়, কুরবানি ঈদকে সামনে রেখে ১৪ জুলাই মধ্যরাত থেকে ২৩ জুলাই সকাল ৬টা পর্যন্ত সব বিধিনিষেধ শিথিল করা হলো।তবে ঈদের ছুটির পর ২৩ জুলাই সকাল ৬টা থেকে ফের শুরু হবে সর্বাত্মক লকডাউন। গেল লকডাউনে গার্মেন্ট ও শিল্পকারখানা খোলা ছিল |
এবারের লকডাউনে ২৩ নির্দেশনা, বন্ধ গার্মেন্ট-কারখানা | কিন্তু ঈদের পরের লকডাউনে গার্মেন্ট ও শিল্পকারখানা বন্ধ থাকবে বলে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়।সরকারের এমন ঘোষণার পর শিল্পকারখানা বন্ধ রাখলে অর্থনীতিতে ভয়াবহ ক্ষতির আশঙ্কা করে উদ্যোক্তারা প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটি চিঠি দেন।চিঠিতে উদ্যোক্তারা ঈদের পর ঘোষিত বিধি-নিষেধের মধ্যে শিল্পকারখানা খোলা রাখার জোর দাবি জানান। এর মধ্যেই আজ গার্মেন্ট ও শিল্পকারখানা বন্ধের বিষয়ে সরকারের আগের সিদ্ধান্তই বহাল রাখার কথা জানালেন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন |
এবারের লকডাউনে ২৩ নির্দেশনা, বন্ধ গার্মেন্ট-কারখানা | লকডাউন শিথিল করার কারণ হিসেবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, 'বড় ধর্মীয় উৎসবকে ঘিরে বিধি-নিষেধ কিছুটা শিথিল করা হয়েছে। তবে এ সময়ে সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। মাস্ক পরতে হবে। বিধি-নিষেধ শেষে আগামি ২৩ জুলাই থেকে চালু হওয়া বিধি-নিষেধ হবে আরো কঠোর |
এবারের লকডাউনে ২৩ নির্দেশনা, বন্ধ গার্মেন্ট-কারখানা | 'প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ আরো বলেন, কঠোর স্বাস্থ্যবিধি না মেনে কোনো উপায় নেই। সরকার অনেক খরচ করছে। ওই টাকা দিয়ে দেশের রাস্তাঘাট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন করা সম্ভব হতো। তা খরচ করতে হচ্ছে করোনা নিয়ন্ত্রণে |
এবারের লকডাউনে ২৩ নির্দেশনা, বন্ধ গার্মেন্ট-কারখানা | কিন্তু মাস্ক না পরলে সব বিফলে যাবে। সকলকে মাস্ক পরতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে।গত মঙ্গলবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জারিকৃত প্রজ্ঞাপন ঈদ পরবর্তী কঠোর লকডাউনে ২৩টি শর্ত আরোপ করা হয়েছে |
এবারের লকডাউনে ২৩ নির্দেশনা, বন্ধ গার্মেন্ট-কারখানা | এর মধ্যে কয়েকটি:* সকল সরকারি, আধাসরকারী, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে।* সড়ক, রেল ও নৌ-পথে গণপরিবহন, অভ্যন্তরীণ বিমান ও সকল প্রকার যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে।* শপিংমল মার্কেটসহ সব দোকানপাট বন্ধ থাকবে।* সকল পর্যটন কেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদন কেন্দ্র বন্ধ থাকবে |
এবারের লকডাউনে ২৩ নির্দেশনা, বন্ধ গার্মেন্ট-কারখানা | * সব শিল্প-কলকারখানা বন্ধ থাকবে।* জনসমাবেশ হয় এমন সামাজিক অনুষ্ঠান, যেমন বিয়ের অনুষ্ঠান-জন্মদিন-পিকনিক ইত্যাদি, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান বন্ধ থাকবে।* আইনশৃঙ্খলা, জরুরি পরিষেবা, খাদ্যদ্রব্য পরিবহণ ত্রাণ বিতরণ, রাজস্ব আদায়, সরকারি ও বেসরকারি টেলিফোন ও ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান, গণমাধ্যম সংশ্লিষ্ট কর্মীরা ও যানবাহন প্রাতিষ্ঠানিক পরিচয় দেখিয়ে যাতায়াত করতে পারবে।* অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া যেমন ওষুধ ও নিত্য প্রয়োজনীয় কেনাকাটা, চিকিৎসা সেবা, মৃতদেহ দাফন বা সৎকারের মত কাজ ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হওয়া যাবে না |
এবারের লকডাউনে ২৩ নির্দেশনা, বন্ধ গার্মেন্ট-কারখানা | নির্দেশনা অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।* কাঁচা বাজার ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দোকান সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।* খাবারের দোকান ও রেস্তোরাঁ সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খাবার বিক্রি করতে পারবে।* বেসামরিক প্রশাসনের সহায়তায় সেনাবাহিনী মাঠ পর্যায়ে প্রয়োজনীয় সংখ্যক সেনা মোতায়েন করবে |
এবারের লকডাউনে ২৩ নির্দেশনা, বন্ধ গার্মেন্ট-কারখানা | * আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালু থাকবে এবং বিদেশগামী যাত্রীরা আন্তর্জাতিক ভ্রমণের টিকেট দেখিয়ে গাড়ি দিয়ে যাতায়াত করতে পারবে।* পণ্য পরিবহনে নিয়োজিত ট্রাক, লরি, কাভার্ড ভ্যান, কার্গো ভেসেল নিষেধাজ্ঞার আওতার বাইরে থাকবে।* বন্দরসমূহ অর্থাৎ বিমান, নৌ ও স্থল বন্দর এবং এর সাথে সম্পৃক্ত অফিস বিধিনিষেধের আওতার বাইরে থাকবে।* টিকা কার্ড দেখিয়ে কোভিডের টিকা গ্রহণ করতে যাওয়া যাবে |
এবারের লকডাউনে ২৩ নির্দেশনা, বন্ধ গার্মেন্ট-কারখানা | * বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আদালতসমূহের বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারি করবে।* প্রত্যেক জেলার ম্যাজিস্ট্রেট নিজ জেলার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিয়ে সমন্বয় সভার মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর টহলের অধিক্ষেত্র, সময় ও এলাকা নির্ধারণ করবেন।* মাঠ পর্যায়ে প্রয়োজনীয় সংখ্যক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ নিশ্চিত করবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়* স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বাহিনীকে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রয়োজনীয় ক্ষমতা প্রদান করতে পারবেন।* ব্যাংক, বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সেবা দেয়ার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ নির্দেশনা দেবে।* বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার কার্যালয় খোলা রাখার বিষয়ে অর্থ বিভাগ নির্দেশনা দেবে।* সরকারি কর্মচারীগণ নিজ নিজ কর্মস্থলে থাকতে হবে, এবং দাপ্তরিক কাজসমূহ ভাচুয়ালি সম্পন্ন করতে হবে। |