query
stringlengths
15
132
positive
sequencelengths
1
9
negative
sequencelengths
1
15
cluster
int64
0
100
ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা জর্জ গিবসন ম্যাকাউলি কি একজন ডানহাতি ব্যাটসম্যান ছিলেন ?
[ "জর্জ ম্যাকাউলি\nজর্জ গিবসন ম্যাকাউলি বা, জর্জ ম্যাকাউলে (; জন্ম: ৭ ডিসেম্বর, ১৮৯৭ - মৃত্যু: ১৩ ডিসেম্বর, ১৯৪০) ইয়র্কশায়ারের থার্সক এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ও পেশাদার ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা ছিলেন। ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯২৩ থেকে ১৯৩৩ সময়কালে ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছিলেন। ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে ইয়র্কশায়ার দলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি মিডিয়াম-ফাস্ট ও অফ স্পিন বোলিংয়ে দক্ষ ছিলেন। এছাড়াও, নিচেরসারিতে ডানহাতে ব্যাটিংয়ে সবিশেষ পারদর্শীতা প্রদর্শন করেছেন জর্জ ম্যাকাউলি।" ]
[ "জর্জ গিয়েরি\nজর্জ গিয়েরি (; জন্ম: ৯ জুলাই, ১৮৯৩ - মৃত্যু: ৬ মার্চ, ১৯৮১) লিচেস্টারশায়ারের বারওয়েল এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা ছিলেন। ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে লিচেস্টারশায়ারের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ফাস্ট মিডিয়াম বোলার হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে পারদর্শীতা দেখিয়েছেন তিনি।", "জর্জ ডাকওয়ার্থ\nজর্জ ডাকওয়ার্থ (; জন্ম: ৯ মে, ১৯০১ - মৃত্যু: ৫ জানুয়ারি, ১৯৬৬) ল্যাঙ্কাশায়ারের ওয়ারিংটন এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত পেশাদার ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা ছিলেন। ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে ল্যাঙ্কাশায়ারের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। দলে তিনি মূলতঃ উইকেট-রক্ষকের দায়িত্ব পালন করতেন। ডানহাতে ব্যাটিং করার পাশাপাশি দলের প্রয়োজনে মাঝে-মধ্যে মিডিয়াম বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন তিনি।", "জর্জ গান\nজর্জ গান (; জন্ম: ১৩ জুন, ১৮৭৯ - মৃত্যু: ২৯ জুন, ১৯৫৮) নটিংহ্যামশায়ারের হাকনল এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা ছিলেন। ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯০৭ থেকে ১৯৩০ সময়কালে ইংল্যান্ডের পক্ষে ১৫ টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ হয় তাঁর। ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে নটিংহ্যামশায়ারের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে বোলিংয়ে পারদর্শীতা দেখিয়েছেন।", "গ্রাহাম ম্যাকেঞ্জি\nগ্রাহাম ডগলাস ম্যাকেঞ্জি (; জন্ম: ২৪ জুন, ১৯৪১) পার্থের কটস্লো এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক ও বিখ্যাত অস্ট্রেলীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা। ১৯৬১ থেকে ১৯৭১ সময়কালে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের পক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন তিনি। দলে তিনি মূলতঃ বোলার ছিলেন। ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া, লিচেস্টারশায়ার ও ট্রান্সভালের প্রতিনিধিত্ব করেছেন তিনি। ১৯৬৫ সালে উইজডেন কর্তৃক বর্ষসেরা ক্রিকেটাররূপে মনোনীত হন গ্রাহাম ম্যাকেঞ্জি। অস্ট্রেলিয়ার ফাস্ট বোলারদের পথিকৃৎ অ্যালান ডেভিডসনের স্থলাভিষিক্ত হন ও পরবর্তীকালে ডেনিস লিলি তাঁর স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন। ম্যাকেঞ্জি মূলতঃ তাঁর পেশীবহুল গড়ন ও চমৎকার ব্যাটিং উপযোগী পীচে উইকেট লাভের দক্ষতার জন্য পরিচিত হয়ে আছেন।", "জর্জ ম্যাকাউলি\nক্রিকেট লেখক জিম কিলবার্ন মন্তব্য করেন যে, ম্যাকাউলি সেরা ক্রিকেটার ছিলেন। গাণিতিকভাবে তিনি হয়তোবা সেরা নন; তবে, ক্রিকেটের ক্ষেত্রে সেরা ছিলেন। তাঁর সমসাময়িক ক্রিকেটারদের মতে, জর্জ ম্যাকাউলির বোলিং ভঙ্গীমা বেশ হালকা মেজাজের ও চেষ্টাহীন ছিল। কিলবার্ন লিখেছেন, তাঁর দৌড়ানোর ভঙ্গী অনেকটা অর্ধ-খোড়াকৃতি লোকের মতো। স্বল্প পদক্ষেপ ও কাঁধ আন্দোলিত করে অগ্রসর হলেও পা ত্রুটিহীনভাবে ফেলতেন এবং বল ডেলিভারির পূর্ব-মুহুর্ত পর্যন্ত ধরে রাখতেন। তবে, ক্রিকেটবোদ্ধা ও দলীয় সঙ্গীরা তাঁকে বোলিংকালে ধৈর্য্যশীল, অতিথিবৎসল ও অগ্নিশর্মা বলে জানতেন। কিলবার্ন বলেন যে, ব্যাটসম্যানেরা ম্যাকাউলির মৃত শত্রুস্বরূপ। ব্যাটসম্যানদেরকে আউট কিংবা অপ্রস্তুত রাখতে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করতেন। তন্মধ্যে, পিচে বল না ফেলে তাঁদের মাথার উপর দিয়ে সোজাভাবে মারতেন যা বেশ ভয়ঙ্কর ও অখেলোয়াড়ীসূলভ ছিল।", "জ্যাক হবস\nস্যার জন বেরি জ্যাক হবস (; জন্ম: ১৬ ডিসেম্বর, ১৮৮২ - মৃত্যু: ২১ ডিসেম্বর, ১৯৬৩) কেমব্রিজে জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত পেশাদার ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা ছিলেন। ১৯০৮ থেকে ১৯৩০ সালের মধ্যে ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের পক্ষে ৬১ টেস্ট খেলায় প্রতিনিধিত্ব করেছেন তিনি। ক্রিকেট বোদ্ধাদের অভিমত, জ্যাক হবস ক্রিকেটের ইতিহাসে অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান হিসেবে পরিগণিত হয়ে আসছেন। তিনি ‘দ্য মাস্টার’ ডাকনামে পরিচিতি পেয়েছেন। ডানহাতি ব্যাটসম্যান ও মাঝে-মধ্যে ডানহাতি মিডিয়াম পেস বোলার ছিলেন তিনি। কাউন্টি ক্রিকেটে সারে দলের পক্ষে খেলেছেন।", "গ্ল্যাডস্টোন স্মল\nগ্ল্যাডস্টোন ক্লিওফাস স্মল (; জন্ম: ১৮ অক্টোবর, ১৯৬১) বার্বাডোসের সেন্ট জর্জ এলাকায় জন্মগ্রহণকারী প্রথিতযশা সাবেক ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৮৬ থেকে ১৯৯২ সময়কালে ইংল্যান্ডের পক্ষে সতেরো টেস্ট ও তিপ্পান্নটি একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশ নিয়েছেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতে ফাস্ট-মিডিয়াম বোলিং করতেন। এছাড়াও, নিচেরসারিতে ডানহাতে কার্যকরী ব্যাটসম্যানের পরিচয় তুলে ধরতেন গ্ল্যাডস্টোন স্মল।", "এম. জে. কে. স্মিথ\nমাইকেল জন নাইট স্মিথ, ওবিই (; জন্ম: ২০ জুন, ১৯৩৩) লিচেস্টারের ওয়েস্টকোটস এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ও সাবেক ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা। ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে স্লো মিডিয়াম বোলিং করতেন এম. জে. কে. স্মিথ নামে পরিচিত মাইক স্মিথ। ১৯৫৬ সালে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ক্রিকেট ক্লাব, ১৯৫৭ থেকে ১৯৬৭ পর্যন্ত ওয়ারউইকশায়ার কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাব এবং ১৯৬৩ থেকে ১৯৬৬ সাল পর্যন্ত ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ইংল্যান্ডের অন্যতম জনপ্রিয় ক্রিকেট অধিনায়ক হিসেবে পরিচিতি ছিল তাঁর। রাগবি ইউনিয়নে তাঁর অংশগ্রহণ ছিল। তিনিই ইংল্যান্ডের সর্বশেষ দ্বৈত আন্তর্জাতিক খেলোয়াড় হিসেবে অংশ নেন।", "জ্যাক ম্যাকব্রায়ান\nজন জ্যাক ক্রফোর্ড উইলিয়াম ম্যাকব্রায়ান (; জন্ম: ২২ জুলাই, ১৮৯২ - মৃত্যু: ১৪ জুলাই, ১৯৮৩) উইল্টশায়ারের বক্স এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা ছিলেন। ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯২৪ সময়কালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন। ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে সমারসেট দলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন জ্যাক ম্যাকব্রায়ান। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন।" ]
34
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন প্রথম কোথায় শুরু হয় ?
[ "জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের ইতিহাস\n১৯৪৮ সালে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন শুরু হয়। এর প্রথম মিশন ছিল ১৯৪৮ সালে মধ্যপ্রাচ্যে ১৯৪৮ আরব-ইসরায়েলি যুদ্ধের সময় যুদ্ধবিরতি পালন ও বজায় রাখা। তারপর থেকে, জাতিসংঘের শান্তিরক্ষীরা বিশ্বব্যাপী প্রায় ৬৩টি মিশনে অংশগ্রহণ করেছে, ১৭টি আজও অব্যাহত রয়েছে। ১৯৮৮ সালে সংস্থাটি শান্তিতে নোবেল লাভ করে।" ]
[ "জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের ইতিহাস\nলীগ অব নেশনস-নিয়ন্ত্রিত ইন্টারন্যাশনাল ফোর্স ফর সের (১৯৩৪-৩৫) \"আন্তর্জাতিক শান্তি পর্যবেক্ষক বাহিনীর প্রথম প্রকৃত উদাহরণ\" হতে পারে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর কোন সরকারী শান্তিরক্ষী মিশনের আগে, জাতিসংঘ ত্রিস্তার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। ১৯৪৭ থেকে ১৯৫৪ পর্যন্ত, জাতিসংঘ নিয়ন্ত্রিত টেরেস্টকে স্বাধীন শহর ঘোষণা করা হয়েছিল। অঞ্চলটিকে দুটি অঞ্চল বিভক্ত করা হয়, যা পরবর্তীতে ইতালি ও যুগোস্লাভিয়ার মধ্যবর্তী অঞ্চলের বিভাগের ভিত্তি তৈরি করে। প্রথমে শান্তিরক্ষা মিশন আরব-ইসরায়েলি যুদ্ধের সময় ১৯৪৮ সালে মধ্যপ্রাচ্যে নিযুক্ত জাতিসঙ্ঘের পর্যবেক্ষকদের একটি দল ছিল। মিশনটি আনুষ্ঠানিক ভাবে ২৯ শে মে, ১৯৪৮ তারিখে অনুমোদিত হয় । এই তারিখ শান্তিরক্ষীদের মধ্যে যারা শহীদ হয়েছেন তাঁদের স্মরণে পালিত হত । জাতিসংঘের মহড়া পরিচালনা সংস্থা ( ইউএনটিএসএসও ), তখন থেকেই এই অঞ্চলের বেশ কয়েকটি সংঘাতের জন্য পর্যবেক্ষক সরবরাহ করেছে। ১৯৪২ সালে ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে ১৯৪৭ এর ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের পর অনুরূপ মিশনে নিযুক্ত করা হয়। তারা সীমান্তে নজরদারি চালিয়ে যাচ্ছে।", "জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের ইতিহাস\nস্নায়ু যুদ্ধের শেষের দিকে জাতিসংঘ বিশ্ব ঐতিহ্যের একটি সংগঠন হওয়ার আহ্বান জানানোর জন্য বেশ কয়েকটি দেশকে এবং বিশ্বজুড়ে দ্বন্দ্বের অবসানকে আরও উৎসাহিত করে। নিরাপত্তা পরিষদে রাজনৈতিক দমনের শেষ পর্যায়ে শান্তিরক্ষা মিশনের সংখ্যাগরিষ্ঠতা বৃদ্ধি পায়। সহযোগিতার নতুন শক্তিতে, নিরাপত্তা পরিষদ বৃহত্তর এবং আরো জটিল জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশন প্রতিষ্ঠা করে। অধিকন্তু, শান্তিরক্ষায় আরও বেশি সংখ্যক অসামরিক উপাদান অন্তর্ভুক্ত করা হয়, যা নির্বাচনের মতো নাগরিক ফাংশনের যথাযথ পরিচালনা নিশ্চিত করে। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনী পরিচালনার জন্য ১৯৯২ সালে এই ধরনের মিশনের বর্ধিত চাহিদা সমর্থন করে।", "জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের ইতিহাস\n১৯৯১ সালে, ইউএসএসআর এর পতনের ফলে নির্মিত রাজনৈতিক পরিস্থিতি কোরিয়ান যুদ্ধের পর যৌথ স্বায়ত্তশাসনের প্রথম স্পষ্টভাবে অনুমোদিত অভিযান অনুমোদন করে: উপসাগরীয় যুদ্ধে কুয়েত থেকে ইরাকে উৎখাত করা। যুদ্ধের অবসানের পর জাতিসংঘ অনুমোদিত জাতিসংঘের ইরাক-কুয়েত অবজার্শন মিশন (UNIKOM) দুদেশের মধ্যে DMZ নজরদারি করার জন্য অনুমোদন করেছে। জাতিসংঘের শান্তিরক্ষায় দুই ধরনের আন্তঃ রাষ্ট্রীয় দ্বন্দ্ব চলছে তখন থেকে।১৯৯৪ সালে জাতিসংঘের Aouzou Strip পর্যবেক্ষক গ্রুপ (ইউএনএএসওজি) আন্তর্জাতিক আদালতের বিচার অনুসারে লিবিয়ার প্রতিদ্বন্দ্বী অঞ্চল থেকে একটি ফাঁকা স্থান থেকে প্রত্যাহারের লক্ষ্যে কাজ করে। ২০০০ সালে, ইরিত্রিয়া-ইথিওপিয়ান যুদ্ধের পর যুদ্ধের অবসান নিরীক্ষণের জন্য জাতিসংঘের মিশন ইথিওপিয়া এবং ইরিত্রিয়া (ইউএনএমইই) প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল।", "বাংলাদেশ পুলিশ\n১৯৮৯ সালে নামিবিয়ায় বাংলাদেশ পুলিশের প্রথম জাতিসংঘের সান্তি মিশনের প্রতিনিধি দলের সদস্র হিসেবে কাজ করে। এরপর থেকে যথাক্রমে বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যরা আইভরি কোষ্ট, সুদান, দারফুর, লাইবেরিয়া, কসাবো, পূর্ব তিমুর, ডি আর কঙ্গো, অ্যাঙ্গোলা, হাইতিসহ অন্যান্য মিশনে কাজ করে। ২০০৫ সালে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী মিশন আইভরি কোষ্টে প্রথম সন্নিবেশিত পুলিশ ইউনিট (এফপিইউ) কাজ শুরু করে। শান্তিরক্ষী মিশনে সবোর্চ্চ সংখ্যক পুলিশ সদস্যের উপস্থিতি বাংলাদেশের।বর্তমানে পৃথিবীর ছয়টি দেশে চলমান সাতটি জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী মিশনে দুইটি নারী পুলিশ সদস্যের সমন্বিত এফপিইউ সহ (যার একটি কঙ্গোতে অন্যটি হাইতি তে) সর্বমোট ২০৫০ জন কর্মরত আছেন।", "জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের ইতিহাস\nতবে সেখানে নিয়মে একটি ব্যতিক্রম ছিল। ডমিনিকান প্রজাতন্ত্রের (ডোম্রেপ) ১৯৬৫-১৯৬৬ সালের সাধারণ সম্পাদকের মিশনের মিশনে জাতিসংঘের একটি দেশের পর্যবেক্ষক মিশন অনুমোদিত হয় যেখানে মতাদর্শগত দলগুলোর মুখোমুখি হয়। যাইহোক, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বামপন্থী ও রক্ষণশীল দলগুলোর মধ্যে গৃহযুদ্ধে একতরফাভাবে হস্তক্ষেপ করার পর এই মিশন শুরু হয়েছিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার দৃঢ় সংহতি এবং শান্তি বজায় রাখার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংগঠন (মার্কিন সৈন্যবাহিনী দ্বারা পরিচালিত) একটি বাহিনী আমন্ত্রণ জানায়। মিশনটি প্রধানত অনুমোদন করা হয়েছিল কারণ আমেরিকানরা এটিকে সমর্থনযোগ্য হিসেবে উপস্থাপন করেছিল এবং জাতিসংঘের মিশনটি সম্পূর্ণ শান্তিচুক্তি বাহিনী ছিল না। এটি যেকোনো সময় শুধুমাত্র দুই পর্যবেক্ষক অন্তর্ভুক্ত করে এবং অন্য আন্তর্জাতিক সংস্থায় শান্তিচুক্তি ছেড়ে চলে যায়। এটি প্রথমবারের মতো জাতিসংঘের একটি আঞ্চলিক গোষ্ঠীর সাথে এই পদ্ধতিতে পরিচালিত হয়। স্নায়ু", "জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের ইতিহাস\nসোভিয়েত ইউনিয়নের পতন এবং perestroika আবির্ভাবের সঙ্গে, সোভিয়েত ইউনিয়ন ব্যাপকভাবে \"বিশ্বব্যাপী\" বেশ কয়েকটি \"প্রক্সি\" গৃহযুদ্ধের জন্য সামরিক এবং অর্থনৈতিক সমর্থন হ্রাস করে। ইউএসজিএমএপি, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী মিশন, আফগানিস্তান থেকে সোভিয়েত বাহিনী প্রত্যাহার এবং আফগানিস্তান থেকে সোভিয়েত বাহিনী প্রত্যাহারের জন্য ইউএসএসআর দেশীয়ভাবে পুনর্বিবেচনা করার জন্য এটি তৈরি করেছে। ১৯৯১ সালে, ইউএসএসআর ১৫ স্বাধীন রাজ্যে দ্রবীভূত দুই সাবেক সোভিয়েত প্রজাতন্ত্র, জর্জিয়ার জর্জিনিয়ান-আবখাজিয়ান দ্বন্দ্ব এবং তাজিকিস্তানে একটি গৃহযুদ্ধে দ্বন্দ্ব ছড়িয়ে পড়ে, যা অবশেষে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা বাহিনী, জাতিসংঘ এবং ইউএনএমোটের অনুগত ছিল।", "জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের ইতিহাস\nমধ্যপ্রাচ্য, যেখানে যোদ্ধারা সাধারণত উচ্চ শক্তির দেশ গুলির সাথে দৃঢ়ভাবে সংযুক্ত ছিল না, যারা প্রধান প্রধান তেল উৎপাদনকারী অঞ্চলে স্থিতিশীলতা চেয়েছিল, এটি ছিল শীতল যুদ্ধের সময় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষার সবচেয়ে দৃশ্যমান বিষয়। ১৯৫৮ সালে ইউএনওজিআইএল এটি নিশ্চিত করার জন্য অনুমোদিত হয়েছিল যে, লেবাননের সীমানার মধ্যে প্রধানত সংযুক্ত আরব প্রজাতন্ত্রের বাহিনীতে কর্মীদের বেআইনি অনুপ্রবেশ বা অস্ত্র সরবরাহ করা হয়নি। কয়েক বছর পরে, ইয়েমেন পর্যবেক্ষক মিশন (UNYOM), ১৯৬৩ সালে অনুমোদিত, আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী মিশর ও সৌদি আরব দ্বারা সমর্থিত পক্ষের সাথে ইয়েমেনের গৃহযুদ্ধ শেষ করার চেষ্টা করে। ১৯৭০-এর দশকের মধ্যে, জাতিসংঘের ১৯৭৩ সালে সুয়েজ (ইউএনএএফ ২) -তে এবং ১৯৭৪ সালে গোলাম হাইটস (ইউএনডিএএফ) -তে ইয়োম কিনবার যুদ্ধ শেষ করে এবং লেবানন (ইউএনএফআইএল) -কে আরব-ইসরায়েলি দ্বন্দ্ব শান্ত করার জন্য কয়েকটি শান্তিরক্ষা মিশনের অনুমোদন দেয়। দুই দেশের মধ্যে প্রায় আট বছর যুদ্ধের পর ইরাক ও ইরানের মধ্যে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সীমান্তে সৈন্য প্রত্যাহারের তত্ত্বাবধানের জন্য ১৯৭৮ সালে দক্ষিণ লেবানন সংঘাতের পর ১৯৮০-র দশকে শুধুমাত্র একটি নতুন মিশন এই অঞ্চলে অনুমোদিত ছিল (UNIIMOG)।", "জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের ইতিহাস\nজাতিসংঘ বেশ কয়েকটি দেশের মধ্যে গৃহযুদ্ধ শেষ করার লক্ষ্যে একক শান্তিরক্ষা মিশন সংগঠিত করেছে। সেন্ট্রাল আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রে, MINURCA (১৯৯৮) সাবেক CAR সামরিক বাহিনী ও মিলিশিয়াগুলির কয়েকটি বিদ্রোহী গোষ্ঠীর নিরস্ত্রীকরণের তত্ত্বাবধানের পাশাপাশি একটি নতুন জাতীয় পুলিশ প্রশিক্ষণ এবং নির্বাচন চলাকালে সহায়তা করার জন্য তৈরি করা হয়েছিল। আরও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার জন্য সফল নির্বাচনের পরে মিশন বর্ধিত করা হয়েছিল। সিওরা লিওনে, জাতিসংঘ / ইউএনএএসএসএল) ১৯৯৯ সালে অভ্যুত্থানের পর ইকোমোজি-এর নেতৃত্বে সরকার পুনর্গঠন করে। ১৯৯৯ সালে, কঙ্গো গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রে দ্বিতীয় কঙ্গো যুদ্ধের পর যুদ্ধবিরতি নিরীক্ষণের জন্য ডিজাইন করা হয়েছিল- এটি ডিআরসি-র অংশে অব্যাহত সহিংসতার কারণে চলতে থাকে। কোট ডি আইভরির মধ্যে, ইউএনওসিআই আইভরিয়ান গৃহযুদ্ধ শেষ করে ২০০৪ সালের শান্তি চুক্তিকে কার্যকর করার জন্য পাঠানো হয়েছিল, যদিও দেশ বিভক্ত হয়ে পড়েছে। বুরুন্ডি সিভিল ওয়ার শেষ হওয়ার পর যুদ্ধবিরতি চুক্তির পর, ONUB-কে ২০০৪ সালে আরুশা শান্তি চুক্তির বাস্তবায়ন তত্ত্বাবধানে অনুমোদিত করা হয়।", "আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস\nইউক্রেনের শান্তিরক্ষী সংস্থা এবং ইউক্রেন সরকারের যৌথ প্রস্তাবনায় ১১ ডিসেম্বর, ২০০২ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের গৃহীত ৫৭/১২৯ প্রস্তাব অণুযায়ী এ দিবসের রূপরেখা প্রণয়ন করা হয়। ২০০৩ সালে আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস প্রথম উদযাপন করা হয়। ১৯৪৮ সালে সংঘটিত আরব-ইসরাইলী যুদ্ধকালীন যুদ্ধবিরতী পর্যবেক্ষণে গঠিত জাতিসংঘ ট্রুস সুপারভিশন অর্গ্যানাইজেশন (আন্টসো) দিনকে উপজীব্য করে ২৯ মে তারিখটি স্থির করা হয়েছে। উল্লেখ্য, জাতিসংঘ ট্রুস সুপারভিশন অর্গ্যানাইজেশন (আন্টসো)-ই হচ্ছে প্রথম জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনী।" ]
74
ডাব্লিউডাব্লিউই ক্রীঢ়া বিনোদন টেলিভিশন প্রোগ্রামটি কবে প্রথম চালু হয় ?
[ "ডাব্লিউডাব্লিউই\nঅন্যান্য পেশাদার কুস্তি প্রচারের মতোই, WWE শোগুলি বৈধ প্রতিযোগিতা নয়, তবে সম্পূর্ণরূপে বিনোদন-ভিত্তিক, কাহিনী-চালিত, স্ক্রিপ্টযুক্ত এবং নৃত্যচিত্রযুক্ত মিলগুলি সমন্বিত করে, যদিও ম্যাচগুলি প্রায়শই এমন পদক্ষেপগুলি অন্তর্ভুক্ত করে যা সঠিকভাবে সঞ্চালিত না হলে পারফরম্যান্সকারীদের আঘাতের ঝুঁকিতে রাখতে পারে। 1989 সালে এ্যাথলেটিক কমিশন থেকে ট্যাক্স এড়াতে WWW এর মালিক ভিনস ম্যাকমাহন দ্বারা এটি সর্বজনীনভাবে স্বীকার করা হয়েছিল। 1980 এর দশকে, WWE জনসাধারণের খেলাধুলা বিনোদন হিসাবে তাদের পণ্য ব্র্যান্ড করেছে, প্রতিযোগিতামূলক খেলা এবং নাটকীয় থিয়েটারে পণ্যটির শিকড় স্বীকার করে।", "ডাব্লিউডাব্লিউই স্ম্যাকডাউন\nডাব্লিউডাব্লিউই স্ম্যাকডাউন!, এছাড়াও রস্ম্যাকডাউন! লাইভ বা মঙ্গলবারের রাতের স্ম্যাকডাউন! হিসেবে পরিচিত, হল ক্রীঢ়া বিনোদন টেলিভিশন অনুষ্ঠান। ১৯৯৯ সালের ২৬ আগষ্টে স্ম্যাকডাউন প্রচার শুরু হয়। ২০০৫ সালের সেপ্টেম্বর ১ পর্যন্ত বৃহস্পতিবারের রাতে স্ম্যাকডাউন! প্রচার করা হত। ২০০৫ সালের ৯ সেপ্টেম্বর থেকে শুক্রবারের রাতে স্ম্যাকডাউন! প্রচার শুরু হয়। ২০১৫ সালের ১৫ জানুয়ারি পুনরায় স্ম্যাকডাউন বৃহস্পতিবারে প্রচার শুরু হয়। ২০১৬ সালের ১৯ জুলাই থেকে বুধবার আর সরাসরি স্ম্যাকডাউন প্রচার শুরু হয়। কিন্তু বিস্ময়ের ব্যাপার যে সেপ্টেম্বর ৪ আর অক্টোবর ৩০ তারিখে শুক্রবার স্ম্যাকডাউন আয়োজন করা হয়েছিল। \"স্ম্যাকডাউন!\" আসলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ১৯৯৯ সালের ২৯ এপ্রিলে ইউপিএন টেলিভিশন নেটওয়ার্কে প্রচার শুরু হয়। ২০০৬ সালের সেপ্টেম্বর থেকে দ্য সিডাব্লিউতে প্রচার শুরু হয়। ২০০৮ সালের অক্টোবর মাস থেকে স্ম্যাকডাউন! মাইনেটওয়ার্কটিভিতে স্থান্তর করা হয়। এবং পূর্বনির্ধারিত সময় অনুযায়ী ২০১৬ সালে ইউএসএ নেটওয়ার্কে প্রচার শুরু হবে \"ডাব্লিউডাব্লিউই র\" এর পর এটা বৃহত্তম টেলিভিশন অনুষ্ঠান।\n\"ডাব্লিউডাব্লিউই স্ম্যাকডাউন!\" এর প্রথম পর্ সরাসরি ১৬২টি ভিন্ন অঞ্চলে, ১৪৭টা শহরে, সাতটি ভিন্ন দেশে প্রচার করা (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, যুক্তরাজ্য, Iraq in 2006 and 2007 for specials Tribute to the Troops, ২০০৫ এ জাপান, ২০০৭ সালে ইতালি, ২০১১ এ মেক্সিকো)।", "ডাব্লিউডাব্লিউই র\nডাব্লিউডাব্লিউই র (এছাড়াও WWE Monday Night Raw হিসেবে পরিচিত) হল ক্রীঢ়া বিনোদন টেলিভিশন প্রোগ্রাম। যেটি প্রত্যেক সপ্তাহের সোমবারের বিকালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ইউএস নেটওয়ার্ক সরাসরি প্রচার করে। এই অনুষ্ঠানটি ১৯৯৩ সালের ১১ জানুয়ারি থেকে প্রচার শুরু শুরু হয়েছে এবং এটা ডাব্লিউডাব্লিউইর প্রধান প্রোগ্রাম।" ]
[ "ডাব্লিউডাব্লিউই ২০৫ লাইভ\nডাব্লিউডাব্লিউই ২০৫ লাইভ, সহজ ভাষায় ২০৫ লাইভ হল ক্রীড়া বিনোদন টেলিভিশন প্রোগ্রাম। এটি একটি সরাসরি পেশাদার কুস্তি অনুষ্ঠান, যেটি ডাব্লিউডাব্লিউই দ্বারা পরিচালিত। এই অনুষ্ঠানটি ডাব্লিউডাব্লিউই নেটওয়ার্কে সম্প্রচারিত হয়। এই অনুষ্ঠানে শুধুমাত্র ক্রুজারওয়েট বিভাগের কুস্তিগীররা কুস্তি করেন। এই অনুষ্ঠানে কুস্তি করা সকল কুস্তিগীরদের অজন ২০৫ পাউন্ড বা তার নিচে।", "ডাব্লিউডাব্লিউই র\nডব্লিউডব্লিউএফের সোমবার নাইট রায়ের শুরুতে, অনুষ্ঠানটি প্রথম জানুয়ারী 11, 1993 এ মার্কিন নেটওয়ার্ককে প্রাইম টাইম রেস্টলিংয়ের প্রতিস্থাপন হিসাবে প্রচারিত হয়েছিল, যা আট বছরের জন্য নেটওয়ার্ক সম্প্রচার করেছিল। মূল কাঁচা দৈর্ঘ্যে 60 মিনিট ছিল এবং টেলিভিশনের পেশাদার কুস্তিতে নতুন স্থল ভেঙ্গেছিল। ঐতিহ্যগতভাবে, কুস্তি শো ছোট শ্রোতা বা বড় আঙ্গিনা শো এ শব্দ পর্যায়ে টেপ করা হয়। কাঁচা সূত্রটি সুপারস্টার এবং রেস্টলিং চ্যালেঞ্জের মতো সম্প্রচারিত টেপড উইকএন্ড শো থেকে আলাদা ছিল। স্টুডিও ভয়েস ওভার এবং টেপড আলোচনার সাথে মিলিয়ে সপ্তাহের আগে টেপের পরিবর্তে, Raw একটি শো শট এবং লাইভ দর্শকদের কাছে সম্প্রচারিত হয়েছিল, এগুলি ঘটেছে এমন কোণগুলির সাথে খেলছে।", "ডাব্লিউডাব্লিউই এনএক্সটি\nডাব্লিউডাব্লিউই এনএক্সটি হল ডাব্লিউডাব্লিউই এর জন্য পেশাদারি কুস্তি উন্নয়নমূলক শাখা। এটা উইন্টার পার্ক, ফ্লোরিডায় অবস্থিত। এটার প্রতিষ্ঠাতা ট্রিপল এইচ (পল লেভেসকিউ)। ২০১২ সালের আগষ্ট মাস থেকে ২০১৩ সালের জুন মাস পর্যন্ত , এটা ছিল স্বতন্ত্র। কিন্তু এটা ডাব্লিউডাব্লিউ এর উন্নায়নমূলক শাখা। ২০১৩ সালের জুন মাসে এনএক্সটি রেসলিং এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং সকল কন্টেন্ট ডাব্লিউডাব্লিউই.কম এ স্থান্তর করা হয়। ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে, এনএক্সটি টেলিভিশন সিরিজ শুরু করে। যেটা ডাব্লিউডাব্লিউই নেটিওয়ার্ক এ প্রচার করা হয়।", "ডাব্লিউডাব্লিউই\n২9 শে এপ্রিল, 1999 এ, ডাব্লুডব্লিউএফ স্মারড টেলিভিশনে ফিরে আসেন, স্ম্যাকডাউন নামে পরিচিত একটি বিশেষ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন! নতুন ইউপিএন নেটওয়ার্কের উপর। বৃহস্পতিবার রাতে অনুষ্ঠানটি ২6 শে আগস্ট, 1999-তে একটি সাপ্তাহিক সিরিজ হয়ে ওঠে - টিবিএস-তে ডাব্লুসিডাব্লিউ বৃহস্পতিবার রাতের প্রোগ্রাম থান্ডারের সাথে সরাসরি প্রতিযোগিতা করে। ২000 সালে, ডাব্লুবিএফ টেলিভিশন নেটওয়ার্ক এনবিসি'র সহযোগিতায়, ২001 সালে শুরু হওয়া একটি নতুন পেশাদারী ফুটবল লীগ এক্সএফএল গঠনের ঘোষণা দেয়। [32] লীগের প্রথম কয়েক সপ্তাহের জন্য উচ্চ রেটিং ছিল, তবে প্রাথমিক আগ্রহ হ্রাস পেয়েছিল এবং এর রেটিংগুলি নিম্ন স্তরে কমিয়ে গেছে (তার গেমগুলির মধ্যে একটি হল আমেরিকান টেলিভিশনে ইতিহাসের সর্বনিম্ন-রেটযুক্ত প্রধান সময়সূচী ছিল)। এনবিসি শুধুমাত্র এক মৌসুমের পর এই উদ্যোগে চলে গেলেন, কিন্তু ম্যাকমাহন একা থাকতে চান। যাইহোক, ইউপিএন-এর সাথে চুক্তিতে পৌঁছাতে অক্ষম হওয়ার পর, ম্যাকমাহন এক্সএফএল বন্ধ করে দেন। [33]", "ডাব্লিউডাব্লিউই\n1983 সালে এনডাব্লুএএ-এর বার্ষিক সভায় ম্যাকমাহন এবং সাবেক ক্যাপিটল কর্মচারী জিম বার্নেট সমস্ত প্রতিষ্ঠান থেকে প্রত্যাহার করেন। [16] ম্যাকমাহন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সিন্ডিকেটেড টেলিভিশনে ডাব্লু ডব্লিউএফএফ প্রোগ্রামিং করার জন্যও কাজ করেন। এটি অন্যান্য প্রমোটারকে রাগান্বিত করে এবং বিভিন্ন কুস্তি প্রচারের সুনির্দিষ্ট সীমানাগুলিকে ব্যাহত করে, অবশেষে 1940-এর দশকে এনডাব্লুএএ-র প্রতিষ্ঠার পর থেকে এটি ব্যবহার করা হয়। এছাড়া, প্রতিযোগী প্রমোটার্স থেকে প্রতিভা সুরক্ষিত করার জন্য কোম্পানি বিজ্ঞাপন, টেলিভিশন পুলিশ এবং টেপ বিক্রয় দ্বারা উত্পন্ন আয় ব্যবহার করে।", "ডাব্লিউডাব্লিউই র\n17 মে, ২01২ তারিখে, ডাব্লু ডব্লুএইচ এবং ইউএসএ নেটওয়ার্ক ঘোষণা করেছিল যে রায়টি 23 জুলাই ২01২ তারিখে 1000 তম পর্বের সাথে শুরু হওয়া স্থায়ী তিন-ঘন্টা ফর্ম্যাটে চলে যাবে। [8] তারপরে, সম্প্রচারের সমস্ত তিন ঘন্টা কেবল কাঁচা হিসাবে পরিচিত, যদিও তারা এখনও নিলসেন রেটিংগুলির উদ্দেশ্যে তিনটি পৃথক প্রোগ্রাম বলে মনে করা হয় (যেমন প্রতি ঘন্টা শেষে প্রদর্শিত পর্দার কপিরাইট বিজ্ঞপ্তি দ্বারা নির্দেশিত)। 2008 সালে, রায় এইচডি একটি নতুন পর্যায়ে debuting। ২010 সালে, ডাব্লুডিআইয়ের সমস্ত সাদা প্রকল্পে তের বছর পর কাঁচা রুপের জন্য রেপ র্যাপস রিটায়ার করা হয়েছিল এবং 2012 সালে সমস্ত ডাব্লু ডাব্লুএইচই প্রোগ্রামিংয়ের জন্য আদর্শ হয়ে উঠেছিল। ২01২ সালে, রায় তাদের এইচডি সেট আপডেট করেছিল। [25]", "ডাব্লিউডাব্লিউই\nপরবর্তী কয়েক বছর ধরে ডাব্লুডব্লিউএফ ব্যবসা ম্যাকমাহনের কাঁধে এবং তার বাচ্চাদের নায়ক হલ્ક হোগানকে উল্লেখযোগ্যভাবে প্রসারিত করেছিল। 1985 সালে এনবিসিতে শনিবার নাইটের প্রধান ইভেন্টের প্রবর্তন প্রথমবারের মতো চিহ্নিত হয়েছিল যে পেশাদার কুস্তিটি নেটওয়ার্ক টেলিভিশনে সম্প্রচারিত হয়েছিল, যখন এখন-নিষ্ক্রিয় DuMont টেলিভিশন নেটওয়ার্ক ভিন্স ম্যাকমাহন সিনিয়র ক্যাপিটল রেস্টলিং কর্পোরেশন সম্প্রচারিত ম্যাচ। 1 9 80 এর দশকে \"রেস্টলিং বুম\" প্রতিযোগিতায় 1987 সালে পন্টিয়াক সিভারডোমে রেসলমেনিয়া তৃতীয় বেতন-প্রতি-দৃশ্যের সাথে শীর্ষে উঠেছিল, যা 93,173 এর উপস্থিতি রেকর্ড করে, যা রেকর্ড রেলেমম্যানিয়া 32 পর্যন্ত ২9 বছর ধরে দাঁড়িয়েছিল। [24] WWF চ্যাম্পিয়ন হલ્ક হোগান এবং আন্দ্রে দ্য জায়ান্টের মধ্যে রেসলমেনিয়া তৃতীয় প্রধান ইভেন্টের পুনর্বিবেচনা 1988 সালে দ্য মুইন ইভেন্টে অনুষ্ঠিত হয়েছিল এবং 33 মিলিয়ন মানুষ, উত্তর আমেরিকার টেলিভিশন ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি দেখা কুস্তি ম্যাচ দেখেছিল। [25]", "ডাব্লিউডাব্লিউই\n২00২ সালে শুরু হওয়া প্রথম খসড়া উদ্বোধনী বিভক্ত রস্টারগুলি নির্ধারণের জন্য এবং প্রতিটি শোগুলির রোস্টারগুলি রিফ্রেশ করার জন্য ডিজাইন করা পরবর্তী ড্রাফ্টগুলি রস্টারগুলি নির্ধারণের জন্য প্রতি বছর একটি খসড়া লটারি অনুষ্ঠিত হয়। ২6 মে, 2006 তারিখে, ডাব্লু ডব্লুএইচই ঘোষণা করেছিল, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের ব্র্যান্ড হিসাবে ইসিডাব্লুটি পুনরায় চালু হবে। নতুন ইসিডব্লিউ প্রোগ্রাম 16 ফেব্রুয়ারী, ২010 পর্যন্ত প্রচারিত হয়। [3 9] সেই সময়ে সকল ইসিডব্লিউ কুস্তিগীর ফ্রি এজেন্ট হয়ে ওঠে যা রায় বা স্ম্যাকডাউন সাইন ইন করতে পারে।" ]
73
সর্বপ্রথম কত সালে পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা করা হয়েছিল ?
[ "পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা\nপরমাণু অস্ত্র পরীক্ষার প্রথম ঘটনাটি ঘটে ১৬ জুলাই, ১৯৪৫ সালে। ঐদিন ম্যানহাটন প্রকল্পের আওতায় যুক্তরাষ্ট্রের নিউ মেক্সিকো অঙ্গরাজ্যের অ্যামোগোর্দো'র কাছে পরীক্ষা চালানো হয়েছিল। প্রকল্পের কোড নেম ছিল ট্রিনিটি।" ]
[ "পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা\n১৯৪২ সালের দিকে \"আলিয়ানোভস্কের\" একটি গবেষণাগারে কাজ করেছেন আন্দ্রে শাখারভ। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষে মহাজাগতিক রশ্মি নিয়ে গবেষণা করেন তিনি। ১৯৪৮ এর মাঝামাঝি সময়ে \"ইগোর কুর্চাতোভ\" এবং \"ইগোর ট্যামকে\" সাথে নিয়ে সোভিয়েত আণবিক বোমা প্রকল্পে অংশ নেন। ২৯ আগস্ট, ১৯৪৯ সালে প্রথমবারের মতো সোভিয়েত আণবিক অস্ত্র পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। ১৯৫০ সালে সারোভে তিনি প্রথমবারের মতো মেগাটন-দূরত্বের সোভিয়েত হাইড্রোজেন বোমা নক্সার মান উন্নয়নে প্রধান ভূমিকা নেন। এ নক্সাই পরবর্তীকালে শাখারভের তৃতীয় চিন্তা নামে রাশিয়া এবং টেলার-উলাম নক্সা নামে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পরিচিতি লাভ করে। ১৯৫৫ সালে \"আরডিএস-৩৭\" নামে প্রথম পরীক্ষা চালানো হয়। এরচেয়েও ব্যাপক মাত্রায় ও একই নক্সায় শাখারভ কাজ করেছিলেন। ৫০ মেগাটন ওজনের জার বোম্বা নামে অক্টোবর, ১৯৬১ সালে পরীক্ষা চালানো হয়। স্মরণাতীতকালের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ও বিশ্বের সর্ববৃহৎ পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা হিসেবে এর বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। বিস্ফোরণ পরবর্তী সময়ে মাশরুম আকৃতির বিরাট কৃত্রিম মেঘমালা ১৬০ কি.মি. দূর থেকেও দৃশ্যমান হয়েছিল। এছাড়াও, ৫৬ কি.মি. উঁচু স্থান থেকে স্পষ্ট দেখা গিয়েছিল এ মেঘমালা।", "পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা\nসাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন তাদের তৈরীকৃত প্রথম আণবিক বোমা (আরডিএস-১) ২৯ আগস্ট, ১৯৪৯ সালে আবিস্কার করে। কিন্তু এর পূর্বেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ছয়টি পারমাণবিক বোমা পরীক্ষা করে ফেলে। ১৯৪৬ সালে অপারেশন ক্রসরোড নামে দুইটি পরমাণু বোমার পরীক্ষামূলক বিস্ফোরণ ঘটায় যা ছিল তাদের ঐসময়কার তুলনায় ২০% বেশী। ১৯৫০-এর দশকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পরমাণু পরীক্ষার জন্য তাদের নিজস্ব এলাকা হিসেবে \"নেভাদা টেস্ট সাইট\" এবং মার্শাল দ্বীপপুঞ্জের \"প্যাসিফিক প্রোভিং গ্রাউন্ড\" গড়ে তোলে।", "পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা\nআণবিক ও পারমাণবিক বোমা পরীক্ষণের প্রেক্ষাপটে অনেক ধরণের ক্ষতিকর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারে। ১৯৫৪ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের \"ক্যাসল ব্র্যাভো\" এলাকায় পরিচালিত আণবিক পরীক্ষার প্রেক্ষাপটে একগুচ্ছ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কথা তুলে ধরা হয়েছিল। এতে ক্ষতির মাত্রা অত্যন্ত বিপজ্জনক স্তরে পৌঁছে এবং ১০০ মাইলেরও অধিক আয়তনবিশিষ্ট জনবসতিপূর্ণ দ্বীপ এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। পাশাপাশি আশপাশের অনেকগুলো জনবসতিপূর্ণ এলাকায়ও এর প্রভাব লক্ষ্য করা গিয়েছিল। যদিও এর প্রতিক্রিয়া দ্রুত ঘটে থাকে; তবুও অন্যান্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আক্রান্ত হয়ে দ্বীপবাসীরা ভুগতে থাকেন। তন্মধ্যে ছিল - তেজস্ক্রিয়তাজনিত কারণে পুড়ে যাওয়া, ক্যান্সারে আক্রান্তের হার বৃদ্ধি পাওয়া এবং জন্ম বিকলাঙ্গতা।", "২০০৯ সালে উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক পরীক্ষা\n২০০৯ সালের উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক পরীক্ষা বলতে ২০০৯ সালের ২৫শে মে উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক অস্ত্রর মাধ্যমে ভূগর্ভে পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষাকে মূলতঃ বোঝায়। এটি দেশটির দ্বিতীয় পারমাণবিক পরীক্ষা ছিল প্রথম পরীক্ষাটি সালের অক্টোবরে করা হয়। এই পরীক্ষাটি সারা বিশ্বব্যাপী নিন্দিত হয়। এই পরীক্ষার পরপরই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা পরিষদ একটি নিরাপত্তা নীতিমালা, \"রেজুলেশন ১৮৭৪\" পাস করে এবং উত্তর কোরিয়ার অনুমোদনের ব্যাপারে আরো সচেতন হয়। দেশটির উত্তরাধিকার সংকটের ফলস্বরূপই এই পরীক্ষাটি চালানো হয়েছিল বলে ধারণা করা হয়। ২০০৮ এর গ্রীষ্মে কিম জোং-ই এর স্ট্রোকের পর, তার তৃতীয় পুত্র, কিম জোং-উন এর উপর দায়িত্বভার অর্পিত হয়। অধিকাংশের ধারণা,নিজেদের সম্ভাব্য সংকটকালীন সময়েও উত্তর কোরিয়া পারমানবিক অস্ত্র গবেষণা থেকে পিছু পা হয়নি প্রমান করতেই এই পারমাণবিক পরীক্ষাটি করা হয়।", "জার বোম্বা\n১৯৪৮ সালের মাঝামাঝি সময়ে ইগোর কুর্চাতোভ এবং ইগোর ট্যামকে সাথে নিয়ে সোভিয়েত আণবিক বোমা প্রকল্পে অংশ নেন আন্দ্রে শাখারভ। ২৯ আগস্ট, ১৯৪৯ সালে প্রথমবারের মতো সোভিয়েত আণবিক অস্ত্র পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। ১৯৫০ সালে সারোভে তিনি প্রথমবারের মতো মেগাটন-দূরত্বের সোভিয়েত হাইড্রোজেন বোমা নক্সার মান উন্নয়নে প্রধান ভূমিকা নেন। এ নক্সাই পরবর্তীকালে শাখারভের তৃতীয় চিন্তা নামে রাশিয়ায় এবং টেলার-উলাম নক্সা নামে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পরিচিতি লাভ করে। ১৯৫৫ সালে আরডিএস-৩৭ নামে প্রথম পরীক্ষা চালানো হয়। এরচেয়েও ব্যাপক মাত্রায় এবং একই নক্সায় শাখারভ কাজ করেছিলেন।", "পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা\nবিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পারমাণবিক বোমা আবিস্কার ও উন্নয়নের জন্য উদ্যোগী হয়। যুদ্ধক্ষেত্র হিসেবে তারাই একমাত্র দেশ হিসেবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানের হিরোশিমা এবং নাগাসাকি নগরীতে পৃথক দু'টি আণবিক বোমা পতনপূর্বক বিস্ফোরণ ঘটায়। সরকারী হিসেব মোতাবেক স্নায়ুযুদ্ধকালীন সময়ের পূর্বে ও পরবর্তী সময়ে ১০৫৪টিরও অধিক পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা কার্য পরিচালনা করে। এছাড়াও তারা অনেক দূরপাল্লার অস্ত্র নির্মাণে প্রভূতঃ উন্নয়ন ঘটায়।", "পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা\nএ অস্ত্রের পরীক্ষাসহ নতুন ধরণের হাইড্রোজেন বোমা আবিস্কার ও পরীক্ষার ফলে বিজ্ঞানীমহল কল্পনাও করতে পারেননি যে মনুষ্য সমাজের জন্য কত বিপজ্জনক হতে পারে এটি। বিস্ফোরণের ফলাফল ছিল ১৫ মেগাটন বা টিএনটি সমমানের যা পূর্বেকার পরীক্ষণের তুলনায় দ্বিগুণ ক্ষমতাসম্পন্ন। এছাড়াও এটি বিপুল পরিমাণে তেজস্ক্রিয় পদার্থ ছড়িয়ে ফেলতে সক্ষম যা মানবদেহের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। আবহাওয়া স্তরের পাশাপাশি জীববৈচিত্র্যে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করে যা আগাম চিত্র পরিস্কারভাবে তুলে ধরা সম্ভব নয়।", "পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা\nসোভিয়েত ইউনিয়ন সীমিত মাত্রায় বিশেষ করে কাজাখিস্তানে পরমাণু অস্ত্রের পরীক্ষা শুরু করে। এরই প্রেক্ষাপটে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কে শৈথিল্যের সূত্রপাত হয়, যা ইতিহাসে স্নায়ুযুদ্ধ বা ঠাণ্ডা যুদ্ধ বা শীতল যুদ্ধ নামে পরিচিত। কিন্তু উভয় দেশই পরমাণু অস্ত্রের পরীক্ষা কার্য অব্যাহত গতিতে চালাতে থাকে। তারা বিংশ শতকের অর্ধেকেরও বেশি সময়কাল শত শত পারমাণবিক বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নিজেদের শক্তিমত্তা ও সক্ষমতা যাচাই করেছে।", "আন্দ্রে শাখারভ\n১৯৪২ সালের দিকে \"আলিয়ানোভস্কের\" একটি গবেষণাগারে কাজ করেছেন তিনি। ২য় বিশ্বযুদ্ধ শেষে মহাজাগতিক রশ্মি নিয়ে গবেষণা করে। ১৯৪৮ এর মাঝামাঝি সময়ে \"ইগোর কুর্চাতোভ\" এবং \"ইগোর ট্যামকে\" নিয়ে সোভিয়েত আণবিক বোমা প্রকল্পে অংশ নেন শাখারভ। ২৯ আগস্ট, ১৯৪৯ সালে প্রথমবারের মতো সোভিয়েত আণবিক অস্ত্র পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। ১৯৫০ সালে সারোভে চলে যান তিনি। সেখানে তিনি প্রথমবারের মতো মেগাটন-দূরত্বের সোভিয়েত হাইড্রোজেন বোমা নক্সার মান উন্নয়নে প্রধান ভূমিকা নেন। এ নক্সাই পরবর্তীকালে শাখারভের তৃতীয় চিন্তা নামে রাশিয়া এবং টেলার-উলাম নক্সা নামে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পরিচিতি লাভ করে। ১৯৫৫ সালে \"আরডিএস-৩৭\" নামে প্রথম পরীক্ষা চালানো হয়। এরচেয়েও ব্যাপক মাত্রায় ও একই নক্সায় শাখারভ কাজ করেছিলেন। \"৫০এমটি জার বোম্বা\" নামে অক্টোবর, ১৯৬১ সালে পরীক্ষা চালানো হয় যা স্মরণাতীতকালের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী পারমাণবিক বোমার বিস্ফোরণ ঘটেছিল।" ]
50
ব্রিটিশ লেখিকা জে. কে. রাউলিং রচিত হ্যারি পটার উপন্যাস সিরিজের চতুর্থ খন্ডটির নাম কী ?
[ "হ্যারি পটার\n২০০০ সালের মধ্যেই এই সিরিজটি আংশিকভাবে প্রকাশকদের ব্যবসার নীতির কারণে ও বহুলাংশে পাঠকদের বিশেষ করে তরুণ ছেলে পাঠকদের কারণে হাই-প্রোফাইল হিসেবে পরিগণিত হয়। ২০০০ সালের মধ্যে ভিডিও গেমস ও ইন্টারনেটের কারণে বইয়ের আকর্ষন অন্য দিকে চলে যায়। রাউলিং এর প্রকাশকগন দ্রুত এই সিরিজের তিনটি বই প্রকাশ করে পাঠদের মন জয় করেন এবং তাদের কে হ্যারি পটারের একান্ত ভক্ত করে তুলেন। ফলে সিরিজটির উত্তেজনা বিন্দুমাত্র না কমে ছড়িয়ে পড়ে। মাতামাতির চরম মুহুর্তে বিপুল মিডিয়া কভারেজের মাধ্যমে ২০০০ সালে হ্যারি পটারের চতুর্থ বই\"হ্যারি পটার এন্ড দি গবলেট অফ ফায়ার\" প্রকাশিত হয়।", "হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য গবলেট অব ফায়ার\nহ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য গবলেট অফ ফায়ার (ইংরেজিতে Harry Potter and the Goblet of Fire) ব্রিটিশ লেখিকা জে. কে. রাউলিং রচিত হ্যারি পটার উপন্যাস সিরিজের চতুর্থ বই। এটি ২০০০ সালের ৮ জুলাই প্রকাশিত হয়। বইটি ২০০১ সালে হুগো অ্যাওয়ার্ড অর্জন করে।" ]
[ "হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য ডেথলি হ্যালোস\nহ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য ডেথলি হ্যালোস (ইংরেজি: Harry Potter and the Deathly Hallows) ব্রিটিশ লেখিকা জে. কে. রাউলিং রচিত \"হ্যারি পটার\" উপন্যাস সিরিজের সপ্তম ও সর্বশেষ খন্ড। বইটি ২০০৭ সালের ২১ জুলাই প্রকাশিত হয়। পূর্ববর্তী খন্ড \"হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য হাফ-ব্লাড প্রিন্স\" এর কাহিনীর ধারাবাহিকতায় এ বইটির প্রেক্ষাপট তৈরি হয়েছে। এ বইটির মাধ্যমে হ্যারি পটার সিরিজের সমাপ্তি ঘটে।\n\"হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য ডেথলি হ্যালোস\" যুক্তরাজ্যে ব্লুমসবারি পাবলিশিং, যুক্তরাষ্ট্রে স্কলাস্টিক, কানাডায় রেইনকোস্ট বুকস এবং অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে অ্যালান & আনউইন প্রকাশ করে। এটি আন্তর্জাতিকভাবে ৯৩ টি দেশে একই সাথে প্রকাশিত হয়। \"ডেথলি হ্যালোস\" বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুততম বিক্রিত বই হিসেবে রেকর্ড করে। প্রথম ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই এটির ১৫ মিলিয়ন কপি বিক্রি হয়। এই বইটি বিশ্বের বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়েছে। এর মধ্যে বাংলা, হিন্দি, ইউক্রেনীয়, পোলীয়, সুয়েডীয়, আরবি, ফরাসি, জার্মান প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।", "হ্যারি পটার\nহ্যারি পটার ( ) হচ্ছে ব্রিটিশ লেখিকা জে. কে. রাউলিং রচিত সাত খন্ডের কাল্পনিক উপন্যাসের একটি সিরিজ। এই সিরিজের উপন্যাসগুলিতে জাদুকরদের পৃথিবীর কথা বলা হয়েছে এবং কাহিনী আবর্তিত হয়েছে হ্যারি পটার নামের এক কিশোর জাদুকরকে ঘিরে, যে তার প্রিয় বন্ধু রন উইজলি ও হারমায়নি গ্রেঞ্জারকে সাথে নিয়ে নানা অ্যাডভেঞ্চারে অংশ নেয়। কাহিনীর বেশিরভাগ ঘটনা ঘটেছে হগওয়ার্টস স্কুল অব উইচক্র্যাফট এন্ড উইজার্ডরিতে। মূল চরিত্র হ্যারি পটারের বড় হওয়ার পথে যেসব ঘটনা ঘটে, তার শিক্ষাজীবন, সম্পর্ক ও অ্যাডভেঞ্চার নিয়েই কাহিনী রচিত হয়েছে। আবার বইটিতে মানুষের বন্ধুত্ব, উচ্চাশা, ইচ্ছা, গর্ব, সাহস, ভালবাসা, মৃত্যু প্রভৃতিকে জাদুর দুনিয়ার জটিল ইতিহাস, বৈচিত্র্যপূর্ণ অধিবাসী, অনন্য সংস্কৃতি ও সমাজ প্রভৃতির দৃষ্টিকোণ থেকে বর্ণনা করা হয়েছে। এর কাহিনী মূলত কালো-যাদুকর লর্ড ভলডেমর্ট, যে জাদু সাম্রাজ্যে প্রতিপত্তি লাভের উদ্দেশ্যে হ্যারির বাবা-মাকে হত্যা করেছিল ও তার চিরশত্রু হ্যারি পটারকে কেন্দ্র করেই আবর্তিত হয়েছে।", "হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য ফিলোসফার্স স্টোন\nহ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য ফিলোসফার্স স্টোন () ব্রিটিশ লেখিকা জে. কে. রাউলিং রচিত \"হ্যারি পটার\" নামক কাল্পনিক উপন্যাস সিরিজের প্রথম উপন্যাস। এখানে হ্যারি পটার নামে একজন জাদুকরের কথা বলা হয়েছে, যে এগার বছর বয়সে সর্বপ্রথম আবিষ্কার করে যে সে একজন জাদুকর এবং হগওয়ার্টস নামের একটি জাদুবিদ্যা শিক্ষার স্কুলে ভর্তি হয়। হগওয়ার্টসে সে রন উইজলি ও হারমায়োনি গ্রেঞ্জার এর সাথে বন্ধুত্ব গড়ে তোলে এবং তাদের সহযোগিতায় কালো জাদুকর লর্ড ভলডেমর্টকে পরাজিত করে এবং পরশপাথরটিকে উদ্ধার করে। ভলডেমর্টই হ্যারির এক বছর বয়সে তার বাবা মাকে হত্যা করেছিল এবং তাকেও হত্যার চেষ্টা করেছিল।", "হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য হাফ-ব্লাড প্রিন্স\nহ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য হাফ-ব্লাড প্রিন্স (ইংরেজিতে Harry Potter and the Half-Blood Prince) ব্রিটিশ লেখিকা জে. কে. রাউলিং রচিত হ্যারি পটার উপন্যাস সিরিজের ষষ্ঠ বই। এটি ২০০৫ সালের ১৬ জুলাই প্রকাশিত হয়। বইটিতে হ্যারি পটার হগওয়ার্টস স্কুলে তার ষষ্ঠ বর্ষে পদার্পন করে। বইটিতে লর্ড ভলডেমর্টের অতীত জীবনের বিস্তারিত বর্ণনা দেয়া হয়েছে। এ বই থেকেই হ্যারি ও অন্যান্যরা শেষ লড়াইয়ের প্রস্তুতি নেয়া শুরু করে। এছাড়া, হ্যারি ও তার বন্ধুদের বয়োঃসন্ধিকালের বিভিন্ন সমস্যা, সম্পর্কের জটিলতা ও আবেগের দ্বন্দ্ব প্রভৃতি বিষয় এই বইটির অন্যতম উপজীব্য বিষয়।", "হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য চেম্বার অব সিক্রেটস\nহ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য চেম্বার অফ সিক্রেটস (ইংরেজিতে Harry Potter and the Chamber of Secrets) ব্রিটিশ লেখিকা জে কে রাউলিং রচিত \"হ্যারি পটার\" উপন্যাস সিরিজের দ্বিতীয় বই। বইটি ১৯৯৮ সালের ২ জুলাই যুক্তরাজ্যে এবং ১৯৯৯ সালের ২ জুন যুক্তরাষ্ট্রে প্রকাশিত হয়।", "জে কে রাউলিং\nহ্যারি পটার সিরিজের ১ম গল্পটি লেখা শেষ করার পর বইটি প্রকাশ করার জন্য প্রকাশকদের কাছে অনেক ঘুরতে হয়েছিল রাউলিংকে। প্রকাশকদের ধারণা ছিল বইটি তাঁদের ব্যবসায়িকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন করবে। আটজন প্রকাশক ফিরিয়ে দেওয়ার পর ব্লুমসবারি নামের একটি প্রকাশনী ১৯৯৭ সালের ২৬ জুন হ্যারি পটার সিরিজের প্রথম বই 'হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য ফিলোসফার্স স্টোন' প্রকাশ করে। এরপরের ইতিহাস সকলেরই জানা। একেবারে অচেনা-অজানা জে.কে. রাউলিং হয়ে যান বিশ্ববিখ্যাত। যে রাউলিংকে এর আগে তার পরিবার ও পরিচিত জনরা ছাড়া অন্য কেউ চিনতো না। বিশ্বব্যাপী হ্যারি পটার সিরিজের ৩৫ কোটি কপি বিক্রি হয়েছে। তবে সবচেয়ে আশ্চর্যজনক বিষয় হলো জে.কে. রাউলিং এর লেখা হ্যারি পটার সিরিজের বই কেনার জন্য প্রকাশিত হওয়ার আগের দিন রাত থেকে মানুষ বইয়ের দোকানের সামনে লাইন দিতো।", "হারমায়নি গ্রেঞ্জার\nহারমায়নি জিন গ্রেঞ্জার (ইংরেজিতে Hermione Jean Granger) ব্রিটিশ লেখিকা জে. কে. রাউলিং রচিত \"হ্যারি পটার\" উপন্যাস-সিরিজের এক কাল্পনিক চরিত্র। সিরিজের প্রথম উপন্যাস \"হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য ফিলোসফার্স স্টোন\" থেকে পরবর্তী প্রতিটি উপন্যাসে তার উপস্থিতি রয়েছে। সিরিজে সে হ্যারি পটার ও রন উইজলির অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বন্ধু হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। তার চরিত্রে বিচক্ষণতা ও বুদ্ধির সমন্বয় ঘটেছে। রাউলিং বলেছেন যে, তিনি হারমায়নির মধ্যে তার নিজের ছোটবেলার চরিত্রকে প্রকাশ করেছেন।", "সেভেরাস স্নেপ\nসেভেরাস স্নেপ (ইংরেজি ভাষায় Severus Snape) ব্রিটিশ লেখিকা জে. কে. রাউলিং রচিত \"হ্যারি পটার\" উপন্যাস সিরিজের একটি কাল্পনিক চরিত্র। প্রথম উপন্যাস \"হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য ফিলোসফার্স স্টোন\" এ তিনি প্রাথমিক খলনায়কদের একজন হলেও পরবর্তীকালে তাঁর চরিত্রটি আরো জটিল এবং রহস্যময় হয়ে উঠে। রাউলিং স্নেপের প্রকৃত চরিত্র ও আনুগত্য প্রকাশ করেন সিরিজের সর্বশেষ বই \"হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য ডেথলি হ্যালোস\" এ। স্নেপ সিরিজের সাতটি বইয়ের প্রতিটিতে উপস্থিত ছিলেন।", "রুবিয়াস হ্যাগ্রিড\nরুবিয়াস হ্যাগ্রিড (ইংরেজি: Rubeus Hagrid) ব্রিটিশ লেখিকা জে. কে. রাউলিং রচিত হ্যারি পটার উপন্যাস সিরিজের একটি কাল্পনিক চরিত্র। সে সকলের কাছে হ্যাগ্রিড নামেই পরিচিত। সে হগওয়ার্টসের চাবি ও মাঠের রক্ষক এবং গেমকিপার। হগওয়ার্টসে হ্যারি পটারের তৃতীয় বর্ষে হ্যাগ্রিড কেয়ার অফ ম্যাজিকাল ক্রিয়েচার্স বিষয়ের শিক্ষক হিসেবে নিযুক্ত হয়। সিরিজে পরবর্তীতে জানা যায় যে, হ্যাগ্রিড অর্ডার অফ দ্য ফিনিক্সের সদস্য।" ]
39
চর্যাপদের পুঁথি কে আবিষ্কার করেছিলেন ?
[ "চর্যাপদ\nবাংলায় মুসলমান আধিপত্য প্রতিষ্ঠিত হবার আগে ব্রাহ্মণ্য হিন্দুসমাজের পীড়নের আশঙ্কায় বাংলার বৌদ্ধগণ তাঁদের ধর্মীয় পুঁথিপত্র নিয়ে শিষ্যদেরকে সঙ্গী করে নেপাল, ভুটান ও তিব্বতে পলায়ন করেছিলেন– এই ধারণার বশবর্তী হয়ে হরপ্রসাদ শাস্ত্রী চারবার নেপাল পরিভ্রমণ করেন। ১৮৯৭ সালে বৌদ্ধ লোকাচার সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহের জন্য তিনি প্রথমবার নেপাল ভ্রমণ করেন। ১৮৯৮ সালের তার দ্বিতীয়বার নেপাল ভ্রমণের সময় তিনি কিছু বৌদ্ধ ধর্মীয় পুঁথিপত্র সংগ্রহ করেন। ১৯০৭ খ্রিস্টাব্দে তৃতীয়বার নেপাল ভ্রমণকালে \"চর্যাচর্যবিনিশ্চয়\" নামক একটি পুঁথি নেপাল রাজদরবারের অভিলিপিশালায় আবিষ্কার করেন। \"চর্যাচর্যবিনিশ্চয়\", সরহপাদের দোহা এবং অদ্বয় বজ্রের সংস্কৃত \"সহজাম্নায় পঞ্জিকা\", কৃষ্ণাচার্য বা কাহ্নপাদের দোহা, আচার্যপাদের সংস্কৃত \"মেখলা\" নামক টীকা ও আগেই আবিষ্কৃত \"ডাকার্ণব\" পুঁথি একত্রে ১৯১৬ খ্রিস্টাব্দে (শ্রাবণ, ১৩২৩ বঙ্গাব্দ) বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ থেকে \"হাজার বছরের পুরাণ বাঙ্গালা বৌদ্ধগান ও দোঁহা\" শিরোনামে সম্পাদকীয় ভূমিকাসহ প্রকাশ করেন হরপ্রসাদ শাস্ত্রী। হরপ্রসাদ শাস্ত্রী মোট ৪৬টি পূর্ণাঙ্গ ও একটি খণ্ডিত পদ পেয়েছিলেন। পুঁথিটির মধ্যে কয়েকটি পাতা ছেঁড়া ছিল। প্রবোধচন্দ্র বাগচী চর্যার যে তিব্বতি অনুবাদ সংগ্রহ করেন তাতে আরও চারটি পদের অনুবাদসহ ওই খণ্ডপদটির অনুবাদও পাওয়া যায়। মূল পুঁথির পদের সংখ্যা ছিল ৫১। মূল তিব্বতি অনুবাদের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, মূল পুঁথির নাম \"চর্যাগীতিকোষ\" এবং এতে ১০০টি পদ ছিল। হরপ্রসাদ শাস্ত্রী আবিষ্কৃত পুঁথিটি \"চর্যাগীতিকোষ\" থেকে নির্বাচিত পুঁথিসমূহের সমূল টীকাভাষ্য।", "নৈহাটি\nহরপ্রসাদ শাস্ত্রী, একজন প্রখ্যাত ভাষাতাত্ত্বিক, ভারততত্ত্ববিদ, বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস রচয়িতা - তাঁরও আদিবাড়ি এখানেই। হরপ্রসাদ শাস্ত্রী নেপালের রাজকোষাগার থেকে চর্যাপদের পুঁথি আবিষ্কারের জন্য বিখ্যাত। এই আবিস্কারের ওপর রচিত তার গবেষণা গ্রন্থ \"হাজার বছরের পুরান বাঙ্গালা ভাষায় রচিত বৌদ্ধ গান ও দোঁহা\" নামে ১৯১৬ সালে প্রকাশ পায়, যা বাংলা সাহিত্যের আদিতম নিদর্শন ও অমূল্য সম্পদ। এ ছাড়াও উনি অনেক প্রাচীন পুঁথি ও গ্রন্থ আবিষ্কার করেন।" ]
[ "বসন্তরঞ্জন রায় বিদ্বদ্বল্লভ\nতিনি বহু গ্রামে পুঁথির সন্ধান করে সারা জীবনে প্রায় ৮০০ পুঁথি সংগ্রহ করেছিলেন এবং সেগুলি বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদকে দান করেছিলেন । তিনি বিষ্ণুপুরের কাছে কালিয়া গ্রামের নিবাসী দেবেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের বাড়ির গোয়াল ঘরের মাচা থেকে ১৩১৬ বঙ্গাব্দে বড়ু চণ্ডীদাসের শ্রীকৃষ্ণকীর্তন পুঁথি আবিষ্কার করেন । এটি ছিল তাঁর জীবনের সর্বশ্রেষ্ঠ কীর্তি । চর্যাপদের পরে শ্রীকৃষ্ণকীর্তন বাংলা সাহিত্যে দ্বিতীয় নিদর্শন।", "হরপ্রসাদ শাস্ত্রী\nপুরাতন পুঁথি সংগ্রহের মাধ্যমে চর্যাপদ গবেষণা করে বাংলা সাহিত্যের প্রাচীনত্বকে প্রমাণিত করেন। ‘গোপাল তাপনি’ উপনিষদের ইংরেজী অনুবাদে তিনি রাজেন্দ্রলাল মিত্রের সহযোগী ছিলেন। ‘ভারতবর্ষের ইতিহাস’ গ্রন্থ রচনা ও প্রত্নতাত্ত্বিক খননকার্যের ফলে প্রাপ্ত লেখা থেকে পাঠোদ্ধার এবং পুঁথি আবিষ্কার ও টীকা রচনা করে ভারতবর্ষের প্রাচীন সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিষয়ে বিশেষ অবদান রাখেন। ১৮৯১ খ্রিষ্টাব্দে রাজেন্দ্রলাল মিত্রের মৃত্যুর পর এশিয়াটিক সোসাইটি কর্তৃক সংস্কৃত পুঁথিসংগ্রহের কাজে অধ্যক্ষ নিযুক্ত হন। এই কাজে তিনি নেপাল. তিব্বত ভ্রমণ করেন।", "প্যারানথ্রোপাস বয়েজি\n১৯৫৯ সালের ১৭ জুলাই নৃতত্ত্ববিদ ম্যারী লিকি তানজানিয়ার অলদুভাই গর্জে একটি মাথার খুলি আবিষ্কার করেন। এই জীবাশ্মটি (ডাক নাম \"নাটক্র্যাকার ম্যান\") বেশ ভালোভাবে সংরক্ষিত ছিল। অনুমান করা হয় এর বয়স সাড়ে ১৭ লক্ষ বছরের পুরোনো। এই স্থুলকায় অস্ট্রালোপিথেসিনের স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য ছিল। ম্যারী এবং তার স্বামী লুইস লিকি এই প্রজাতির নাম \"জিঞ্জানথ্রোপাস বয়েজি\" রাখেন। এখানে \"\"জিঞ্জ\"\" শব্দটি মধ্য আফ্রিকার জাঞ্জ এলাকার নাম থেকে উদ্ভুত; আর \"\"এন্থ্রোপাস\"\" ( প্রাচীন গ্রিকে: ἄνθρωπος, \"এনথ্রোপোস\") অর্থ হলো \"মানুষ\" এবং \"\"বয়েজি\"\" শব্দটি এসেছে; লিকি পরিবারের এই জীবাশ্ম অন্বেষণের জন্য যে অর্থের প্রয়োজন তার পৃষ্ঠপোষকতাকারী চার্লস ওয়াটসন বয়েজীর নাম থেকে।", "প্যারানথ্রোপাস বয়েজি\n১৯৫৯ সালের ১৭ জুলাই নৃতত্ত্ববিদ ম্যারী লিকি তানজানিয়ার অলদুভাই গর্জে একটি মাথার খুলি আবিষ্কার করেন। এই জীবাশ্মটি (ডাক নাম \"নাটক্র্যাকার ম্যান\") বেশ ভালোভাবে সংরক্ষিত ছিল। অনুমান করা হয় এর বয়স সাড়ে ১৭ লক্ষ বছরের পুরোনো। এই স্থুলকায় অস্ট্রালোপিথেসিনের স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য ছিল। ম্যারী এবং তার স্বামী লুইস লিকি এই প্রজাতির নাম \"জিঞ্জানথ্রোপাস বয়েজি\" রাখেন। এখানে \"\"জিঞ্জ\"\" শব্দটি মধ্য আফ্রিকার জাঞ্জ এলাকার নাম থেকে উদ্ভুত; আর \"\"এন্থ্রোপাস\"\" ( প্রাচীন গ্রিকে: ἄνθρωπος, \"এনথ্রোপোস\") অর্থ হলো \"মানুষ\" এবং \"\"বয়েজি\"\" শব্দটি এসেছে; লিকি পরিবারের এই জীবাশ্ম অন্বেষণের জন্য যে অর্থের প্রয়োজন তার পৃষ্ঠপোষকতাকারী চার্লস ওয়াটসন বয়েজীর নাম থেকে।", "শ্রীকৃষ্ণকীর্তন\n১৯০৯ সালে বাঁকুড়া জেলার বেলিয়াতোড় গ্রামের বাসিন্দা বসন্তরঞ্জন রায় বিদ্বদ্বল্লভ প্রাচীন পুঁথির অনুসন্ধান করতে গিয়ে ঐ জেলারই বিষ্ণুপুর শহরের নিকটবর্তী কাকিল্যা গ্রামে জনৈক দেবেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে প্রথম শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যের পুথি আবিষ্কার করেন। তাঁর গোয়ালঘরের মাঁচায় এই পুথিটি তুলে রাখা ছিল। দেবেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় ছিলেন বনবিষ্ণুপুরের মল্লরাজগুরু শ্রীনিবাস আচার্যের দৌহিত্রের বংশধর। পুথিটির সঙ্গে প্রাপ্ত চিরকূটটি থেকে জানা যায় যে আড়াই শত বছর আগে বিষ্ণুপুরের ‘গাঁথাঘর’ অর্থাৎ রাজগ্রন্থশালায় এটি রাখা ছিল।", "চর্যাপদের কবিগণ\nআবিষ্কৃত পুঁথিটিতে ৫০টি চর্যায় মোট ২৪ জন সিদ্ধাচার্যের নাম পাওয়া যায়। এঁরা হলেন: লুই, কুক্কুরী, বিরুআ, গুণ্ডরী, চাটিল, ভুসুকু, কাহ্ন, কাম্বলাম্বর, ডোম্বী, শান্তি, মহিত্তা, বীণা, সরহ, শবর, আজদেব, ঢেণ্ঢণ, দারিক, ভাদে, তাড়ক, কঙ্কণ, জঅনন্দি, ধাম, তান্তী পা, লাড়ীডোম্বী। এঁদের মধ্যে লাড়ীডোম্বীর পদটি পাওয়া যায়নি। ২৪, ২৫ ও ৪৮ সংখ্যক পদগুলি হরপ্রসাদ শাস্ত্রী আবিষ্কৃত পুঁথিতে না থাকলেও ডক্টর প্রবোধচন্দ্র বাগচী আবিষ্কৃত তিব্বতি অনুবাদে এগুলির রচয়িতার নাম উল্লিখিত হয়েছে যথাক্রমে কাহ্ন, তান্তী পা ও কুক্কুরী। এই নামগুলির অধিকাংশই তাঁদের ছদ্মনাম এবং ভনিতার শেষে তাঁরা নামের সঙ্গে 'পা' (কম্বলাম্বরের বংশজ। তিনি প্রথম জীবনে বিষ্ণুনগরের রাজা ছিলেন। তাঁর জীবৎকাল নয় শতকের শেষভাগ। তিনি দারিক পার শিষ্য ছিলেন বলে অনুমান করা হয়।", "শ্রীকৃষ্ণকীর্তন\nশ্রীকৃষ্ণকীর্তন বড়ুচণ্ডীদাস নামক জনৈক মধ্যযুগীয় কবি রচিত রাধাকৃষ্ণের প্রণয়কথা বিষয়ক একটি আখ্যানকাব্য। ১৯০৯ সালে বসন্তরঞ্জন রায় বিদ্বদ্বল্লভ বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুরের নিকটবর্তী কাঁকিল্যা গ্রাম থেকে অযত্নরক্ষিত অবস্থায় এই কাব্যের একটি পুথি আবিষ্কার করেন। ১৯১৬ সালে তাঁরই সম্পাদনায় বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ থেকে ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ নামে পুথিটি প্রকাশিত হয়; যদিও কারও কারও মতে মূল গ্রন্থটির নাম ছিল ‘শ্রীকৃষ্ণসন্দর্ভ’। বৌদ্ধ-সহজীয়া গ্রন্থ চর্যাপদের পর এটিই আদি-মধ্য বাংলা ভাষার প্রাচীনতম আবিষ্কৃত নিদর্শন।", "প্রমথনাথ বসু\nপ্রমথনাথ ১৮৮০ সালে দেশে ফিরে আসেন ও জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ায় কাজ করতে থাকেন। বিলেতে তিনি ভারতীয় জাতীয়তাবাদী নেতাদের সাহায্য করতেন ও তাদের আশ্রয় দিতেন ইত্যাদি রাজনৈতিক কারনে কর্মক্ষেত্রে তার পদোন্নতি হয়নি। ১৯০৩ সালে তিনি পদত্যাগ করেন। কিছুদিন প্রেসিডেন্সি কলেজে ভূবিদ্যার অধ্যাপনা করেন। চাকরি জীবনে মধ্যপ্রদেশ রাজ্যে ডাল্লি রাজহারা লৌহ খনি আবিষ্কার করে সুখ্যাতি পেয়েছিলেন। এই লৌহখনিকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠে ভিলাই কারখানা। ময়ূরভঞ্জ জেলায় লৌহখনির আবিষ্কার তার শ্রেষ্ঠ কীর্তি যার ফলে গড়ে ওঠে জামশেদপুর টাটা ইস্পাত কারখানা। জামশেদজি টাটাকে তিনিই পরামর্শ দেন ইস্পাত কারখানা স্থাপনে। রানীগঞ্জ, দার্জিলিং, আসামে কয়লা এবং সিকিমে তামার খনির অনুসন্ধান করেন। বর্মাতেও খনিজ অনুসন্ধান চালিয়েছেন। রাজনীতির ক্ষেত্রে গঠনমূলক কাজে অগ্রনী ছিলেন। বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনে যোগদান করেছিলেন তিনি। বেঙ্গল টেকনিকাল ইনস্টিটিউটের (অধুনা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়) অধ্যক্ষ ও পরে পরিদর্শক হন। ভারতীয় শিল্প, বাণিজ্য বিস্তার, বাংলায় বিজ্ঞান চেতনা প্রসারে চেষ্ঠা করেছেন। তিনি কলকাতার এশিয়াটিক সোসাইটিরও সদস্য ছিলেন।" ]
50
মোস্তাফা জব্বার কোন রাজনৈতিক দলের সদস্য ছিলেন ?
[ "মোস্তাফা জব্বার\nছাত্রজীবনে মোস্তাফা জব্বার রাজনীতি, মুক্তিযুদ্ধ, সাহিত্য চর্চা, সাংবাদিকতা, নাট্য আন্দোলনের সাথে ব্যাপকভাবে জড়িত ছিলেন। ১৯৭১ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি তার লেখা বাংলাদেশের প্রথম গণনাট্য ‘এক নদী রক্ত’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রশিক্ষক কেন্দ্রে মঞ্চস্থ হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠকালে তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার অন্যতম নেতা ছিলেন। ১৯৭৩ সালে তিনি ছাত্রলীগের পক্ষে নির্বাচন করে সূর্যসেন হলের নাট্য ও প্রমোদ সম্পাদক নির্বাচিত হন। স্বাধীনতার আগে তিনি সাপ্তাহিক জনতা পত্রিকায় লেখালেখির সাথে যুক্ত ছিলেন।" ]
[ "মোস্তাফা জব্বার\nদেশে কম্পিউটারের শুল্ক ও ভ্যাট মুক্ত আন্দোলন ও শিক্ষায় কম্পিউটার প্রচলনের জন্য মোস্তাফা জব্বার এখন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক অনেক কমিটির সদস্য। তিনি কপিরাইট বোর্ড এবং বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক অথরিটির সদস্য। ২০০৭ সালের ২৬ মার্চ তিনি ডিজিটাল বাংলাদেশ ধারণা সম্পর্কে প্রথম নিবন্ধ লেখেন এবং তার দ্বারাই ২০০৮ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার লিপিবদ্ধ হয়। তিনি কম্পিউটার বিষয়ে অনেকগুলো বই লিখেছেন এবং তিনি নবম ও দশম শ্রেণীর কম্পিউটার বিষয়ক পাঠ্যপুস্তক মাধ্যমিক কম্পিউটার শিক্ষা বইটির লেখক। উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের “তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি” বই-এর লেখক তিনি। এছাড়াও উচ্চ মাধ্যমিক কম্পিউটার শিক্ষা, প্রাথমিক কম্পিউটার শিক্ষা, মাল্টিমিডিয়া ও অন্যান্য প্রসঙ্গ ছাড়াও তার লেখা কম্পিউটারে প্রকাশনা, মাইক্রোসফট ওয়ার্ড, মাইক্রোসফট এক্সেল ও তার সম্পাদিত কম্পিউটার অভিধান বিষয়ক বই ও রয়েছে। তার প্রথম উপন্যাস নক্ষত্রের অঙ্গার ২০০৫ সালে প্রকাশিত হয়েছে। সুবর্ণে শেকড় নামে আরেকটি উপন্যাস তিনি লিখছেন। এছাড়াও কম্পিউটার কথকতা, ডিজিটাল বাংলা, একুশ শতকের বাংলা, বাঙ্গালী ও বাংলাদেশ, ডিজিটাল বাংলাদেশ এবং একাত্তর ও আমার যুদ্ধ তার লেখা বইগুলোর অন্যতম। \nবাংলাদেশ টেলিভিশনের ‘ব্যবসায় তথ্যপ্রযুক্তি’, ‘কম্পিউটার’ ও ডিজিটাল বাংলাদেশ টক শো-এর মাধ্যমে এবং এটিএন বাংলার ‘কম্পিউটার প্রযুক্তি’ এবং চ্যানেল আই এর ‘একুশ শতক’ অনুষ্ঠানের সহায়তায় ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার মাধ্যমেও তিনি কম্পিউটারকে সাধারণ মানুষের কাছে জনপ্রিয় করে তুলেন।", "মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেন\nপ্রত্যক্ষ রাজনীতিতে তাঁর পদচারণা সপ্তম সংসদ নির্বাচনের আগে। এসময় তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপিতে যোগ দেন। ১৯৯৭ সাল থেকে দীর্ঘদিন তিনি ফেনী জেলা বিএনপির সভাপতি ও দলের জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলেন। তিনি সংসদের বিরোধী দলীয় নেত্রী ও বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ছিলেন। তিনি একটানা তৃতীয় বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। প্রথম বার সপ্তম সংসদে নির্বাচিত হয়ে তিনি জাতীয় সংসদে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ছিলেন। দ্বিতীয় বার অষ্টম সংসদের নির্বাচিত হয়ে তিনি জাতীয় সংসদের পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ছিলেন এবং তথ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ছিলেন এবং নবম জাতীয় সংসদের তিনি শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ছিলেন।", "মোস্তাফা জব্বার\nঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র থাকাকালে মোস্তাফা জব্বার একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। তিনি মুজিব বাহিনীর খালিয়াজুরি থানার সহ অধিনায়ক ছিলেন। তার বাড়ীর পাশের সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার ১৬১ জন রাজাকার যুদ্ধোত্তরকালে তার কাছে আত্মসমর্পণ করে যার মধ্যে ১০৮ জনকে মুক্তিযোদ্ধারা হত্যা করে ।", "মোস্তাফা জব্বার\nমোস্তাফা জব্বারের পৈতৃক নিবাস নেত্রকোনা জেলার খালিয়াজুড়ি উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামে। ১৯৪৯ সালের ১২ আগষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার চর চারতলা গ্রামের নানার বাড়ীতে তাঁর জন্ম। মোস্তাফা জব্বারের বাবা আব্দুল জব্বার তালুকদার পাটের ব্যবসায়ী ও সম্পন্ন কৃষক ছিলেন। তার দাদা আলিমুদ্দিন মুন্সি ছিলেন বিশাল ভূ সম্পত্তির মালিক যার উপাধি ছিলো তালুকদার। তার মা রাবেয়া খাতুন সমগ্র জীবন গৃহিনী হিসেবেই জীবন যাপন করেছেন।", "মৌলভী মোহাম্মদ আব্দুল জব্বার পাহলোয়ান\n১৯২১ সালে মাত্র ২৬ বছর বয়সে বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক সভার সর্বকনিষ্ঠ সদস্য নির্বাচিত হন । ১৯২৩ সালে স্বরাজ পার্টি থেকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন এবং বিজয় লাভ করেন। ১৯৩৭ সালের নির্বাচনেও তিনি ময়মনসিংহ পশ্চিম থেকে নির্বাচিত হন। ১৯৪৬ সাল পর্যন্ত তিনি একক ভাবে ময়মনসিংহ পশ্চিম অঞ্চল থেকে নির্বাচিত সদস্য ছিলেন। ১৯২৩ সালের নির্বাচনে তার নির্বাচনী ব্যয় ছিল ১২০৩ টাকা অপরদিকে তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী নওয়াব বাহাদুর সৈয়দ নওয়াব আলী চৌধুরী নির্বাচনী ব্যয় ছিল ৩৬০৮ টাকা । বিশাল ব্যায়ের পার্থক্য থাকা সত্ত্বেও আব্দুল জব্বার পাহলোয়ান ওই নির্বাচনে জয় লাভ করেছিল। নওয়াব বাহাদুর সৈয়দ নওয়াব আলী চৌধুরীর সম্মান রক্ষা করার জন্য নওয়াব সাহেব কে সন্মানিত সদেস্য পদ দান করে এবং তিনি শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করেন। আব্দুল জব্বার পাহলোয়ান বহুবার বঙ্গীয় ব্যাবস্থাপক সভায় ভাষন প্রদান করেন। তিনি ম্যালেরিয়া রোগ প্রতিষধক কুইনাইনের দাম কমানোর জন্য তার যুক্তি তর্ক উপস্থাপন করেন। ১৯২১ সালের ২১ শে নভেম্বর কলকাতায় হরতাল চলাকালে জনগণের উপর পুলিশের নির্বিচারে গুলি বর্ষনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। তিনি জমিদারদের আয়ের উপর কর আরোপের জন্য একটি বিল উত্থাপন করে ছিলেন", "মোস্তাফা জব্বার\nছাত্র থাকাকালেই মোস্তাফা জব্বারের কর্মজীবন শুরু হয় ১৯৭২ সালের ১৬ জানুয়ারি সাংবাদিকতার মধ্য দিয়ে। সেই সময়ে তিনি সাপ্তাহিক গণকণ্ঠ পত্রিকায় রিপোর্টার হিসেবে কাজে যোগ দেন। ২১ ফেব্রুয়ারি ১৯৭২ পত্রিকাটি দৈনিকে পরিণত হয়। ১৯৭৫ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত গণকণ্ঠ পত্রিকাটি নিয়মিত প্রকাশিত হতো এবং সেই সময়ে প্রকাশিত পত্রিকাটির শেষ সংখ্যা পর্যন্ত তিনি তাতে কর্মরত ছিলেন। ১৯৭৩ সালে তিনি ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক নির্বাচিত হন।\nগণকণ্ঠ বন্ধ হয়ে যাবার পর তিনি ট্রাভেল এজেন্সি, মুদ্রণালয়, সংবাদপত্র ইত্যাদি ব্যবসায় যুক্ত হন। তিনি ট্রাভেল এজেন্টদের সংগঠন আটাব (এসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশ)- এর সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি ১৯৮৭ সালের ২৮শে এপ্রিল ব্যবসায় প্রবেশ করেন। সেই বছরের ১৬ মে তিনি কম্পিউটারে কম্পোজ করা বাংলা সাপ্তাহিক পত্রিকা আনন্দপত্র প্রকাশ করেন। ১৯৮৮ সালের ১৬ ডিসেম্বর তিনি প্রকাশ করেন বিজয় বাংলা কীবোর্ড ও সফটওয়্যার। সেটি প্রথমে মেকিন্টোস কম্পিউটারের জন্য প্রণয়ন করেন। পরে ১৯৯৩ সালের ২৬ মার্চ তিনি উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের জন্যও বিজয় বাংলা কীবোর্ড ও সফটওয়্যার প্রকাশ করেন। তিনি আনন্দ প্রিন্টার্স এবং আনন্দ মুদ্রায়ণের প্রতিষ্ঠাতা। \nতিনি ইতিপূর্বে বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির নির্বাহী পরিষদের সদস্য, কোষাধ্যক্ষ ও সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া তিনি বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার এন্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস ( বেসিস ) এর প্রতিষ্ঠাতা সহ-সভাপতি ও পরিচালক এবং বাংলাদেশ কম্পিউটার ক্লাবের সভাপতি ছিলেন। ২০০৮-০৯ সময়কালে তিনি দ্বিতীয় বারের মতো বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ২০১০-১১ সালে তিনি তৃতীয় বারের মতো বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০১২-মে-১৩ সময়কালে তিনি এই সমিতির পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ১ জুন ২০১৩ থেকে ৩১ মার্চ ২০১৪ পর্যন্ত তিনি আবার চতুর্থবারের মতো বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে (২০১৪-১৫-১৬) তিনি বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির উপদেষ্টা। তিনি প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন ডিজিটাল বাংলাদেশ টাস্কফোর্সসহ বিভিন্ন সংস্থায় যুক্ত আছেন। তিনি ২০১৪-১৫-১৬ সময়কালে বৃহত্তর ময়মনসিংহ সাংস্কৃতিক ফোরামের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি নেত্রকোণা জেলা সমিতির উপদেষ্টা। তিনি নেত্রকোণা যুব সমিতি প্রতিষ্ঠা করেন ও সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।", "মোস্তাফা জব্বার\nমোস্তাফা জব্বার (জন্ম: ১২ই আগস্ট, ১৯৪৯) একজন বাংলাদেশী ব্যবসায়ী, প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ও মন্ত্রী। তিনি ২০১৮ সালের ২ জানুয়ারি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দ্বায়িত্ব গ্রহণ করেন। তিনি বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) সভাপতি। তিনি বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির (বিসিএস) সাবেক সভাপতি। তার প্রতিষ্ঠানের বিজয় বাংলা কিবোর্ড ১৯৮৮ সালে প্রকশিত হয় যা ইউনিকোড ভিত্তিক অভ্র কী-বোর্ড আসার পূর্বপর্যন্ত বহুল ব্যবহৃত হয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তি ও সাধারণ বিষয়ের ওপর অনেকগুলো বইয়ের লেখক তিনি।", "শেখ রাজ্জাক আলী\nতিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র থাকা অবস্থায় সক্রিয়ভাবে বায়ান্নোর ভাষা আন্দোলনে যোগ দিলেও রাজনৈতিক জীবনের হাতেখড়ি মওলানা ভাসানীর ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (ন্যাপ) সঙ্গে যুক্ত হয়ে; এরপর তিনি জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ)-এ যোগ দেন। এবং ১৯৭৩ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খুলনা-৬ আসনে জাসদের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে পরাজিত হন। ১৯৭৮ সালে তিনি বিচারপতি সাত্তারের নেতৃত্বে গঠিত জাগদল-এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হন এবং ১৯৭৯ সালে এই দলের নাম পরিবর্তন করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) করা হলে সে বছরের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খুলনা-৬ আসন থেকে সদস্য নির্বাচিত হন। একই দল থেকে ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালেও তিনি খুলনা-২ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৯১ সালে তিনি আইন প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান; পরে এ বছরের ৫ এপ্রিল ডেপুটি স্পিকার ও ১২ অক্টোবর স্পিকার নির্বাচিত হন। \n১৯৯২ সালে শ্রীলঙ্কার কলোম্বোতে অনুষ্ঠিত প্রথম সার্ক স্পিকার্স সম্মেলনে তিনি যোগদান করেন ও সার্ক স্পিকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নির্বাচিত হন।\n১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর তার সভাপতিত্বেই জাতীয় সংসদে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার অনুমোদন দেওয়া হয়। \nতিনি ২০০২ সালে যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের হাইকমিশনার নিযুক্ত হন। \nসরকারের ক্ষমতা হস্তান্তরের কয়েক দিন আগে ২০০৬ সালে তিনি বিএনপি থেকে পদত্যাগ করে সংস্কারকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। \nএরপর তিনি কর্নেল (অব.) অলি আহমদ গঠিত এলডিপিতে যোগ দেন ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে এবং পরবর্তীতে কার্যকরী সভাপতি নির্বাচিত হন। তবে এলডিপি ভেঙে গেলে তিনি রাজনীতি থেকে সম্পূর্ণ নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েন।", "মোহাম্মদ ইউসুফ (রাজনীতিবিদ)\nতিনি রাঙ্গুনিয়া থেকে ১৯৯১ সালে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীক নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। পরে তিনি সিপিবি ছেড়ে আওয়ামী লীগে যোগ দেন। তিনি ১৯৬৯-৭০ সালে রাঙ্গুনিয়া থানা ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি থাকাকালে রাঙ্গুনিয়া কলেজ ছাত্র সংসদের সহসভাপতি (ভিপি) ছিলেন। স্বাধীনতার পর শ্রমিক রাজনীতিতে যুক্ত হওয়ার পর ১৯৭৪-৭৫ সালে দাউদ-ফোরাত জুটমিলে সিবিএ সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) রাঙ্গুনিয়া থানার সাবেক সভাপতি মো. ইউসুফ জেলা কমিটির সদস্য এবং উত্তর জেলা কমিটির সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্যও ছিলেন। জনাব মোঃ ইউসুফ বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচন এর মাধ্যমে পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচন এর নির্বাচিত সংসদ সদস্য বিএনপি প্রার্থীকে পরাজিত করে চট্টগ্রাম থেকে জাতীয় সংসদ নির্বাচন এর নির্বাচনি এলাকা চট্টগ্রাম-৭ থেকে নির্বাচিত হন।" ]
23
হুমায়ূন আহমেদ বাংলাদেশের কোন কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেন ?
[ "হুমায়ুন আজাদ\n১৯৫২ সালে হুমায়ুন 'রাড়িখাল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে' প্রথম শ্রেণীতে ভর্তি হন, ওখানে তৃতীয় শ্রেণী পর্যন্ত পড়েন, এরপর ১৯৫৫ সালে তৃতীয় শ্রেণী বাদ দিয়ে তিনি সরাসরি চতুর্থ শ্রেণীতে ভর্তি হন রাড়িখালের 'স্যার জে সি বোস ইন্সটিটিউশন'-এ, যেটাতে তৃতীয় শ্রেণী থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত ছিলো। ছেলেবেলা থেকেই তিনি ছিলেন অত্যন্ত মেধাবী। এ বিদ্যালয় থেকে তৎকালীন 'ইস্ট পাকিস্তান সেকেন্ডারি এডুকেশন বোর্ড' এর অধীনে ১৯৬২ সালে ম্যাট্রিকুলেশন (ম্যাট্রিক বা মাধ্যমিক) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। এরপর তিনি ১৯৬৪ সালে ঢাকা কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট (উচ্চ মাধ্যমিক) পাশ করেন। ১৯৬৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা সাহিত্যে স্নাতক ডিগ্রি এবং ১৯৬৮ সালে একই বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। উভয় পরীক্ষায় তিনি প্রথম শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হন। ২০১৬ সালে তার বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের এক বন্ধু স্মৃতিচারণ করতে যেয়ে বলেন যে, তার এই বন্ধুটি লেখাপড়ায় খুবই মনোযোগী ছিলো এবং সে বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারে বই পড়ে অনেক সময় ব্যয় করতো।", "হুমায়ূন আহমেদ\nতাঁর বাবা চাকুরী সূত্রে দেশের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করেছেন বিধায় হুমায়ূন আহমেদ দেশের বিভিন্ন স্কুলে লেখাপড়া করার সুযোগ পেয়েছেন। তিনি বগুড়া জিলা স্কুল থেকে ম্যাট্রিক পরীক্ষা দেন এবং রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন। তিনি পরে ঢাকা কলেজে ভর্তি হন এবং সেখান থেকেই বিজ্ঞান বিভাগে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রসায়ন শাস্ত্রে অধ্যয়ন করেন এবং প্রথম শ্রেণীতে বিএসসি (সম্মান) ও এমএসসি ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের আবাসিক ছাত্র ছিলেন এবং ৫৬৪ নং কক্ষে তার ছাত্রজীবন অতিবাহিত করেন (\"নন্দিত নরকে\" উপন্যাসটি মুহসীন হলেই লেখা)।", "এস এম আহমেদ হুমায়ুন\nহুমায়ুনের জন্ম ১৯৩৬ সালের ১৮ মে তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বরাহনগরে। তার শৈশব কাটে পূর্ব বাংলার ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলার নবীনগর উপজেলার শাহবাজপুর গ্রামে। ১৯৫৩ সালে তিনি মাধ্যমিক পাস করেন মোহিনী কিশোর হাই স্কুল থেকে। পরে তিনি ঢাকা চলে আসেন এবং ঢাকা কলেজ থেকে ১৯৫৬ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন এবং ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে। ১৯৫৮ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তৎকালীন ছাত্র ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের পদ লাভ করেন। ১৯৬০ সালে তিনি পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ে বিএসসি এবং ১৯৬১ সালে এমএসসি ডিগ্রি লাভ করেন।" ]
[ "আবুল মনসুর আহমেদ\nতিনি ১৯১৭ সালে ম্যাট্রিক পরীক্ষা পাশ করেন এবং ১৯১৯ সালে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেন। তিনি কলকাতার রিপন কলেজ থেকে আইন বিষয়ে পাশ করেন। এই সময়টা ছিল খিলাফত আন্দোলন ও অসহযোগ আন্দোলনের। তিনি ৯ বছর ময়মনসিংহে আইন বিভাগে পাশ করেন। তারপর কলকাতায় পেশাদার সাংবাদিক হিসাবে কাজ করেন। তিনি বিশিষ্ট আইনজীবীও ছিলেন। গোঁড়া মোহাম্মদী পরিবারের সন্তান ছিলেন আবুল মনসুর আহমদ। লাল তুর্কী টুপি মাথায় মোহাম্মদীর পক্ষে তর্কেও যেতেন। ঘটনাক্রমে একদিন তিনি ময়মনসিংহ জিলা স্কুলের হেড মৌলভী আলী নেওয়াজ ও শিক্ষক মৌলভী শেখ আবদুল মজিদের সংস্পর্শে আসেন। এঁদের সাহচর্যে আবুল মনসুর প্রথম উদারতার পাঠ গ্রহণ করেন। তার এই উদারতার বহিঃপ্রকাশ ঘটে অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের প্রতি। ১৯১৮-১৯ সাল থেকে তিনি কবর পূজা এবং পীর পূজাসহ হিন্দু-মুসলিম সমাজের সকল কুসংস্কারের সরাসরি বিরোধিতা শুরু করেন (আত্মকথা, পৃ ১৮০-৮১)।", "আবুল কাসেম ফজলুল হক\nআবুল কাসেম ফজলুল হক ১৯৫৯ খ্রিস্টাব্দে ময়মনসিংহ জিলা স্কুল থেকে প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। ১৯৬১ খ্রিস্টাব্দে আনন্দমোহন কলেজ থেকে বিজ্ঞানে উচ্চমাধ্যমিক পাস করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৬৫ সালে তিনি স্নাতক (সম্মান) এবং ১৯৬৬ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পাশ করেন। শিক্ষাজীবনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র থাকাকালীন তিনি মুনির চৌধুরী, আহমদ শরীফ, হুমায়ুন আজাদ, নীলিমা ইব্রাহিমের সংস্পর্শে আসেন এবং প্রগতিশীল ভাবধারায় নিজেকে যুক্ত করেন।", "হুমায়ূন আহমেদ\nঢাকা কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করার পর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রসায়ন এবং নর্থ ডাকোটা স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ে পলিমার রসায়ন শাস্ত্র অধ্যয়ন করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক হিসাবে দীর্ঘকাল কর্মরত ছিলেন। পরবর্তীতে লেখালেখি এবং চলচ্চিত্র নির্মাণের স্বার্থে অধ্যাপনা ছেড়ে দেন।", "মহাদেব সাহা\nমহাদেব সাহা বগুড়ার ধুনট হাইস্কুল থেকে ১৯৬০ সালে ম্যাট্রিকুলেশন পাস করেন। উচ্চমাধ্যমিকে তিনি ঢাকা কলেজে ভর্তি হয়েও অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং পরে তিনি বগুড়ার আজিজুল হক কলেজ থেকে ১৯৬৪ সালে উচ্চমাধ্যমিক পাস করেন। তিনি আজিজুল হক কলেজে বাংলা সাহিত্য বিষয়ে অনার্স শ্রেণীতে ভর্তি হন এবং ১৯৬৭ সালে অনার্স পাস করে রাজশাহীতে আসেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বাংলা বিষয়ে এমএ ডিগ্রি অর্জন করেন। এমএ পাসের পর তিনি কিছুদিন ইংরেজি বিষয়ে গবেষণায় নিযুক্ত হন কিন্তু কবিতা লেখার অদম্য আগ্রহ তাঁকে গবেষণা শেষ করার আগেই ঢাকায় নিয়ে যায়। তিনি জ্যোতিপ্রকাশ দত্তের সহায়তায় ১৯৬৯ সালে তৎকালীন সাপ্তাহিক পূর্বদেশ পত্রিকায় যোগদান করেন।", "মোশতাক আহমেদ\nমোশতাক আহমেদ ১৯৭৫ সালের ৩০শে ডিসেম্বর ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা উপজেলার তুজারপুর ইউনিয়নের সড়ইবাড়ী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার প্রাথমিক শিক্ষা শুরু হয় নিজ গ্রামের প্রাথমিক সরকারী বিদ্যালয়ে। তিনি ১৯৯০ সালে খুলনা জিলা স্কুল হতে মাধ্যমিক পাস করেন। ১৯৯২ সালে তিনি খুলনা বি এল কলেজ থেকে যশোর শিক্ষা বোর্ডে সম্মিলিত মেধা তালিকায় ১৩তম স্থান অধিকার করে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন। পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগ থেকে প্রথম শ্রেণীসহ স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অফ বিজনেস এডমিনেস্ট্রেশন (আইবিএ) থেকে এমবিএ ডিগ্রি অর্জন করেন। ২০০৫-০৬ সালে তিনি ব্রিটিশ সিভনিং স্কলার হিসাবে ইংল্যান্ডের লেস্টার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অপরাধ বিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।", "এস এম আহমেদ হুমায়ুন\nএমএসসি পাস করে হুমায়ুন অধুনালুপ্ত আদমজী পাটকলে মান নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা হিসেবে যোগ দেন। সেখানে এক বছর কর্মরত থাকার পর তিনি তৎকালীন ইংরেজি সাপ্তাহিক ঢাকা টাইমস পত্রিকায় সহকারী সম্পাদক হিসেবে যোগদান করেন। পাশাপাশি তিনি তৎকালীন জগন্নাথ কলেজে (বর্তমান জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়) অধ্যাপনা করেন। হুমায়ুন ১৯৬৫ সালে দৈনিক পাকিস্তানে সহকারী সম্পাদক হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৭০ দশকের শেষের দিকে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আমন্ত্রিত শিক্ষক হিসেবে অধ্যাপনা করেন। ১৯৮৫ সাল থেকে দৈনিক বাংলার সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং ১৯৯৬ সালে এই পদ থেকে অবসরে যান।", "আবদুল হামিদ (শিক্ষাবিদ)\nসল্লাবাদ বোর্ড প্রাইমারী স্কুলে অধ্যয়ন শেষে আদিয়াবাদ ইসলামিয়া হাই স্কুলে পড়াশোনা শেষ করেন। এন্ট্রান্স পাশ শেষে ১৯৩২ সালে ঢাকা কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পাশ করেন অত্যন্ত কৃতিত্বের সাথে। ১৯৩৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণিত ও পদার্থবিজ্ঞানের সমন্বিত বিষয়ে প্রথম শ্রেণীতে সম্মান ডিগ্রী লাভ করেন। ১৯৩৬ সালে গণিতশাস্ত্র বিষয়ে প্রথম শ্রেণীতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করেন। উভয়ক্ষেত্রেই তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতে বাঙালী মুসলমানদের মধ্যে প্রথম শিক্ষার্থী হিসেবে প্রথম শ্রেণী লাভ করেছিলেন আবদুল হামিদ। এরফলে স্বর্ণপদক প্রাপ্ত হন তিনি। এছাড়াও, ঢাকার নবাব পরিবারের পক্ষ থেকে ঘোড়ার গাড়িতে করে বাদ্যযন্ত্রাদি সহযোগে তাঁকে ফুলেল সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছিল।" ]
7
২০১৫ সালের নেপালের ভূমিকম্পের তীব্রতা রিখটার স্কেলে কত ছিল ?
[ "২০১৫-এর নেপাল ভূমিকম্প\n২০১৫-এর নেপাল ভূমিকম্প (এছাড়াও হিমালয়ান ভূমিকম্প হিসাবে উল্লেখিত) ৭.৮ বা ৮.১ মাত্রার একটি ভূমিকম্প যা শনিবার ২৫শে এপ্রিল, ২০১৫ সালে ১১:৫৬ এনএসটি (৬:১২:২৬ ইউটিসি) সময়ে নেপালের লামজংয়ের পূর্ব-দক্ষিণ-পূর্ব কেন্দ্রস্থল থেকে আনুমানিক ব্যাপী এলাকায় ভূপৃষ্ঠের প্রায় গভীরে সংগঠিত হয়।", "২০১৫-এর নেপাল ভূমিকম্প\n২৫শে এপ্রিল, ২০১৫ সালে ১১:৫৭ এনএসটি (৬:১২:২৬ ইউটিসি) সময়ে নেপালের লামজংয়ের পূর্ব-দক্ষিণ-পূর্ব কেন্দ্রস্থল থেকে আনুমানিক ব্যাপী এলাকায় ভূপৃষ্ঠের প্রায় গভীরে সংগঠিত হয় এবং প্রায় কুড়ি সেকেন্ড ধরে চলে। ইউনাইটেড স্টেটস জিওলজিক্যাল সার্ভে প্রথমে ভূমিকম্পের তীব্রতা ৭.৫ মাত্রার মাপলেও শীঘ্রই তা পরিবর্তন করে ৭.৯ মাত্রা ও পরে ৭.৮ মাত্রার ভূমিকম্প বলে উল্লেখ করে, যদিও চায়না আর্থকোয়েক নেটওয়ার্কস সেন্টার ভূমিকম্পের তীব্রতা ৮.১ মাত্রা পরিমাপ করে। ভারতীয় ভূতত্ত্ব বিভাগের মতে, ৬:১১ ইউটিসি সময়ে কাঠমাণ্ডু থেকে উত্তর-পশ্চিমে ৭.৯ মাত্রার একটি তীব্র ভূমিকম্প ও পরে ৬:৪৫ ইউটিসি সময়ে ভরতপুর থেকে দূরে ও কাঠমাণ্ডু থেকে উত্তর-পশ্চিমে ভূপৃষ্ঠ থেকে নীচে ৬.৬ মাত্রার অপর একটি ভূমিকম্প ঘটে। প্রথম ভূমিকম্পের পরে ৪.৫ মাত্রা ও তার অধিক মাত্রার ১০০ এর বেশি কম্পন ঘটে, যার মধ্যে ৬.৬ মাত্রার একটি কম্পন প্রথম ভূমিকম্পের কয়েক মিনিট পরে ঘটে।" ]
[ "বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব\n১৯১৮ খ্রিস্টাব্দে বাংলাদেশের শ্রীমঙ্গলে ৭.৬ মাত্রার ভূমিকম্প হয় এবং ২০০৭ খ্রিস্টাব্দের নভেম্বর মাসে হয় ৬.০ মাত্রার ভূমিকম্প। এমনকি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (BUET) মানমন্দিরে জানুয়ারি ২০০৬ থেকে মে ২০০৯ পর্যন্ত ৪ বছরে, রিখটার স্কেলে ৪ মাত্রার ৮৬টি ভূ-কম্পন নথিভুক্ত করা হয়। এই সময়ের মধ্যে ৫ মাত্রার চারটি ভূ-কম্পনও ধরা পড়ে। বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের মানমন্দিরে মে ২০০৭ থেকে জুলাই ২০০৮ পর্যন্ত কমপক্ষে ৯০টি ভূ-কম্পন নথিভুক্ত করা হয়, তন্মধ্যে ৯টিরই রিখটার স্কেলে মাত্রা ছিল ৫-এর উপরে, এবং সেগুলোর ৯৫%-এরই উৎপত্তিস্থল ছিল ঢাকা শহরের ৬০০ কিলোমিটারের মধ্যে। অতীতের এসব রেকর্ড থেকে দেখা যায় ভূমিকম্পের মাত্রা না বাড়লেও ১৯৬০ খ্রিস্টাব্দের পর থেকে ভূমিকম্প সংঘটনের হার বেড়েছে, অর্থাৎ ঘন ঘন স্বল্প মাত্রার ভূমিকম্প হচ্ছে। মতবিরোধ থাকলেও অনেক ভূতাত্ত্বিক ছোট ছোট ভূমিকম্প সংঘটন বড় ধরণের ভূমিকম্পের পূর্বাভাস বলে উল্লেখ করেন। অতীতের এসব রেকর্ডকে প্রাধান্য দিয়ে গবেষকরা জানিয়েছেন যেকোনো সময় বাংলাদেশে রিখটার স্কেলে ৮ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানতে পারে।\nবুয়েটের গবেষকদের প্রস্তুতকৃত ভূ-কম্পন-এলাকাভিত্তিক মানচিত্রে দেখা যায়, বাংলাদেশের ৪৩% এলাকা ভূমিকম্পের উচ্চমাত্রার ঝুঁকিতে (জোন-১), ৪১% এলাকা মধ্যম (জোন-২) এবং ১৬% এলাকা নিম্ন ঝুঁকিতে (জোন-৩) রয়েছে। যেখানে ১৯৯৩ খ্রিস্টাব্দের ভূ-কম্পন মানচিত্রে ২৬% উচ্চ, ৩৮% মধ্যম এবং ৩৬% নিম্ন ঝুঁকিতে ছিল। নতুন মানচিত্র অনুযায়ী, মাত্রাভেদে বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকার অবস্থান নিম্নরূপ:", "ভূমিকম্প\n১৯১৮ খ্রিস্টাব্দে বাংলাদেশের শ্রীমঙ্গলে ৭.৬ মাত্রার ভূমিকম্প হয় এবং ২০০৭ খ্রিস্টাব্দের নভেম্বর মাসে হয় ৬.০ মাত্রার ভূমিকম্প। এমনকি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (BUET) মানমন্দিরে জানুয়ারি ২০০৬ থেকে মে ২০০৯ পর্যন্ত ৪ বছরে, রিখটার স্কেলে ৪ মাত্রার ৮৬টি ভূ-কম্পন নথিভুক্ত করা হয়। এই সময়ের মধ্যে ৫ মাত্রার চারটি ভূ-কম্পনও ধরা পড়ে। বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের মানমন্দিরে মে ২০০৭ থেকে জুলাই ২০০৮ পর্যন্ত কমপক্ষে ৯০টি ভূ-কম্পন নথিভুক্ত করা হয়, তন্মধ্যে ৯টিরই রিখটার স্কেলে মাত্রা ছিলো ৫-এর উপরে, এবং সেগুলোর ৯৫%-এরই উৎপত্তিস্থল ছিলো ঢাকা শহরের ৬০০ কিলোমিটারের মধ্যে। অতীতের এসব রেকর্ড থেকে দেখা যায় ভূমিকম্পের মাত্রা না বাড়লেও ১৯৬০ খ্রিস্টাব্দের পর থেকে ভূমিকম্প সংঘটনের হার বেড়েছে, অর্থাৎ ঘন ঘন স্বল্প মাত্রার ভূমিকম্প হচ্ছে। মতবিরোধ থাকলেও অনেক ভূতাত্ত্বিক ছোট ছোট ভূমিকম্প সংঘটন বড় ধরনের ভূমিকম্পের পূর্বাভাস বলে উল্লেখ করেন। অতীতের এসব রেকর্ডকে প্রাধান্য দিয়ে গবেষকরা জানিয়েছেন যে কোনও সময় বাংলাদেশে রিখটার স্কেলে ৮ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানতে পারে।\nবুয়েটের গবেষকদের প্রস্তুতকৃত ভূ-কম্পন-এলাকাভিত্তিক মানচিত্রে দেখা যায়, বাংলাদেশের ৪৩% এলাকা ভূমিকম্পের উচ্চমাত্রার ঝুঁকিতে (জোন-১), ৪১% এলাকা মধ্যম (জোন-২) এবং ১৬% এলাকা নিম্ন ঝুঁকিতে (জোন-৩) রয়েছে। যেখানে ১৯৯৩ খ্রিস্টাব্দের ভূ-কম্পন মানচিত্রে ২৬% উচ্চ, ৩৮% মধ্যম এবং ৩৬% নিম্ন ঝুঁকিতে ছিলো। নতুন মানচিত্র অনুযায়ী, মাত্রাভেদে বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকার অবস্থান নিম্নরূপ:", "১৯৭০ টংহাই ভূমিকম্প\nরিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির মাত্রা পরিমাপ করা হয় ৭.৭ । এটি ১৫,৬২১ জন মানুষের প্রাণহানি ঘটায় যা একে বিংশ শতাব্দীতে চীনের তৃতীয় বৃহৎ প্রাণঘাতী দুর্যোগে পরিণত করে, এছাড়াও এতে আরো ২৬,৭৮৩ জন আহত হয়। কম্পনের ফলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ছিল ৫ থেকে ২৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। তাৎক্ষণিক ফলাফল হিসেবে রয়টার্স সংবাদ প্রতিবেদন এবং রয়্যাল হংকং অবসার্ভেটরি রেকর্ডকৃত “তীব্র” কম্পন উল্লেখ করে এবং এটি কুনমিং এর একটি অংশ ধ্বংস করে দেয় বলে অসমর্থিত প্রতিবেদনে উল্লেখ করে। এটি টংহাই ফল্টে ৫০ কিলোমিটার (৩১ মাইল) দৃশ্যমান পৃষ্ঠ চ্যুতির সৃষ্টি করে। সেখানে সর্বোচ্চ অনুভূমিক অফসেট ছিল ২.৫ মিটার (৮ ফুট) এবং উলম্ব অফসেট ছিল প্রায় ০.৫ মিটার (১.৫ ফুট) । বিপর্যয় কৌশলের ফলে বিজ্ঞানীরা সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম হয়েছিল যে বিভিন্ন ঘটনাগুলো পৃষ্ঠ চ্যুতি গঠন করে। যেটা এই ভূমিকম্প, এবং এর সাথে পরবর্তীতে ১৯৭৩ সালে ইউনানের ভূমিকম্প, সেখানকার অঞ্চলের ফল্টের সাথে অধিকতর সঙ্গতিপূর্ণ।", "১৯৭০ টংহাই ভূমিকম্প\n১৯৭০ সালের ৪ই জানুয়ারি চীনের ইউনান প্রদেশের টংহাই কাউন্টিতে ১৯৭০-এর টংহাই ভূমিকম্প সংঘঠিত হয়েছিল। এটির উৎপত্তি হয়েছিল রেড রিভার ফল্টে যা কিনা ১৭০০ সালের পর থেকে কখনও রিখটার স্কেলে ৭ মাত্রার ভূমিকম্পের সম্মুখীন হয়নি। ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৭.৭ এবং এর ফলে প্রায় ১৫০০০ মানুষের প্রাণহানি ঘটে যা একে তৎকালীন দশকের সবচেয়ে বড় প্রাণঘাতী দুর্যোগে পরিণত করে। কম্পনের ফলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ছিল ৫ থেকে ২৫ মিলিয়ন ডলারের মধ্যে যা ৮,৭৮১ বর্গকিলোমিটার ( ৩,৩৯০ বর্গমাইল) এলাকা জুড়ে অনুভূত হয়। উত্তর ভিয়েতনামের হ্যানয়ে, উপকেন্দ্র থেকে প্রায় ৪৮৩ কিলোমিটার (৩০০ মাইল) দূরে, শহরজুড়ে ভাঙন ছড়িয়ে পড়ায় ক্ষতিগ্রস্থরা তাদের বাড়ি-ঘর ছেড়ে চলে যায়।", "১৯৭০ টংহাই ভূমিকম্প\n১৯৭০ সালের টংহাই ঘটনার মত দক্ষিণ-পূর্ব ইউনানের ভূমিকম্পগুলো প্রদেশের অন্যান্য অংশের চেয়ে কম ঘন হয়। রেড রিভার ফল্ট লাইনের উপর সংঘটিত হওয়া ভূমিকম্পটিতে সামগ্রিকভাবে সিসমোলোজিকাল প্রক্রিয়ার অভাব রয়েছে। ১৯৬২ সালের ভূতত্ত্ব মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেতন অনুযায়ী রেড রিভার ভূমিকম্প সাধারণত উচ্চ কোণে বৃদ্ধি পায়। সেখানকার পাললিক শিলা গুলো প্লাইস্টোসিন এবং হলোসিন যুগে গঠিত হওয়া বেশ কিছু বড় ভূমিকম্প নির্দেশ করে। ১৭০০ সাল থেকে ভূকম্পনটির আগ পর্যন্ত এই ফল্ট লাইনের উপর রিখটার স্কেলে ৭ মাত্রার চেয়ে বড় কোন ভূমিকম্প হয়নি, তাই এই ফল্ট লাইন কে “মৃত” বলা হত। ১৯৭০ সালের টংহাই ভূমিকম্পের পর থেকে মনে করা হয় যে জাপান মেডিয়ান টেকটোনিক লাইনের মত রেড রিভার ফল্ট লাইন টি একটি বড় সিসমিক গ্যাপ অতিক্রম করছে, যেখানে ৭০০ সালের পর থেকে উল্লেখযোগ্য কোন ভূকম্পন না হলেও হলোসিন যুগে বিশাল ভাবে ঘটতে দেখা যায়।", "প্রাকৃতিক দুর্যোগ\nভূত্বকের নিচে টেকটনিক প্লেটের নড়াচড়ার ফলে ভূপৃষ্ঠে যে কম্পন অনুভূত হয়, তাকে ভূমিকম্প বলে। ভূমিকম্প মাপার ক্ষেত্রে সাধারণত বিশ্বব্যাপী রিখটার স্কেল ব্যবহৃত হয়, তবে সংশোধিত মার্কলি স্কেলও স্বীকৃত। রিখটার স্কেলে ১ মাত্রার ভূমিকম্প হলো সর্বনিম্ন মাত্রা, আর সর্বোচ্চ মাত্রা হলো ১০। পৃথিবীর ইতিহাসে মারাত্মক সব ভূমিকম্প নথিভুক্ত করা হয়েছে। টেকটনিক প্লেট ছাড়াও আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাতেও ভূমিকম্প সংঘটিত হতে পারে। ভূমিকম্পের ফলে ভূত্বকের উপরে থাকা স্থাপনা কম্পন সহ্য করতে না পারলে ভেঙ্গে পড়ে। সমুদ্রে ভূকম্পন হলে পানিতে আলোড়ন সৃষ্টি করে, ফলে সংঘটিত হয় সুনামি।", "১৭৫৫ ক্যাপ এন ভূমিকম্প\nআধুনিক গবেষণা থেকে ভূমিকম্পটির তীব্রতা রিখটার স্কেলে ৬.০ থেকে ৬.৩ এর ভেতর প্রক্কলন করা হয়েছে, এবং যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা এটাকে ম্যাসাচুসেটসের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প হিসেবে লিপিবদ্ধ করেছে। এটি সহ উত্তর-পূর্ব যুক্তরাষ্ট্রে হওয়া ভূমিকম্পগুলোর কারণ সম্পর্কে বিজ্ঞানীরা পরিষ্কারভাবে জানেন না। অঞ্চলটিতে বেশকিছু পুরানো চ্যুতি (ফল্ট) আছে কিন্তু তার কোনটাই এখন সক্রিয় আছে বলে তথ্য নেই। এক সপ্তাহ আগে পর্তুগালের লিসবনে সংঘটিত তীব্রতর ভূমিকম্প দ্বারা প্রভাবিত হয়ে ক্যাপ এন এর ভূমিকম্প সংঘটিত হওয়া সম্ভব যদিও এর যথেষ্ট কোন প্রমাণ নেই যে এই দুই ভূমিকম্প পরস্পর সম্পর্কযুক্ত।", "১৯৮০ এজোরেস দ্বীপপুঞ্জ ভূমিকম্প\nযে ভূমিকম্পটি এজোরেস দ্বীপপুঞ্জে ঘটেছিল তা রিখটার স্কেলে ৭.২ মাত্রার। এটি তিনটি পৃথক দ্বীপপুঞ্জ উপর যথেষ্ট ক্ষতি সাধিত করেছিল (তের্সেইরা, সাও জর্জ ও গ্রাচীয়সা) বিভিন্ন ভবন ধ্বংস করেরেছিল।  স্থানীয় প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঐতিহাসিক দ্বীপ রাজধানী আংরা ডো হিরোইযমো র এক-চতুর্থাংশ সহ তের্সেইরার প্রায় ৭০% এর উপর ঘরসম্পূর্ণ ধ্বংস করেছিল, সর্বসাধারণের ভবনসমূহ যেমন গীর্জা, বিভিন্ন ভবনে গর্ত সৃষ্টি করেছিল। অনেক স্থানের বিদ্যুৎ ও পানি সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছিল।", "১৮৬৭ ম্যানহাটান, ক্যান্সাস ভূমিকম্প\n২০ঃ২২ ইউটিসি বা স্থানীয় সময় ২ঃ২০ মিনিটে ঘটা এই ভূমিকম্পের মাত্রা \"মার্কালি তীব্রতা স্কেলে\" ৭। এই ভৌগোলিক এলাকায় সামান্যই ক্ষতি করে। আহতের সংখ্যা মোটামুটি। ভূমিকম্পে দেয়াল ফাটল ধরে, চিমনি ভেঙ্গে পরে স্থাপনার স্থায়িত্ব ক্ষতিগ্রস্ত হয় এমনকি কিছু পাঁথরও খুলে পড়ে। লুইসভিলে এবং লিভেনওর্থে চিমনি ভেঙ্গে পরে, পাওলাতে বড় পোস্ট অফিস ভবনের দেয়াল ভেঙ্গে পড়ে। ক্যান্সাস নদীতে প্রায় উচ্চতার ঢেউ দেখা দেয়। আইওয়া এবং মিসৌরি থেকে বিচ্ছিন্ন রিপোর্ট থেকে জানা যায়, ডাবাক এবং চিলিকটেতে প্লাস্টার খুলে পড়ে এবং দেয়ালে ফাটল দেখা দেয়।" ]
47
বাংলাদেশের অষ্টম রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান কবে জন্মগ্রহণ করেন ?
[ "জিয়াউর রহমান (চাঁপাইনবাবগঞ্জের রাজনীতিবিদ)\nমু. জিয়াউর রহমান ৭ ডিসেম্বর, ১৯৫২ সালে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার গোমস্তাপুর উপজেলাস্থ রহনপুর পৌরসভার শেখপাড়া এলাকার এক মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহন। তাঁর পিতার নাম রিয়াজউদ্দিন অাহমদ এবং মাতা নুরজাহান বেগম। তাঁর স্ত্রী কাশমেরী রহমান একজন গৃহিণী। মোঃ জিয়াউর রহমান এর মোট ৩ সন্তান, তাঁদের নাম সানজিদা রহমান (জেমি); ফাহমিদা রহমান(জুলি); রাজীব অাহমদ জয়।", "জিয়াউর রহমান\nজিয়াউর রহমান ১৯৩৬ সালের ১৯শে জানুয়ারি বাংলাদেশের বগুড়া জেলার বাগবাড়ী গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। জন্ম ও শৈশবে তাঁর ডাক নাম ছিলো কমল। তাঁর পিতার নাম ছিল মনসুর রহমান এবং মাতার নাম ছিল জাহানারা খাতুন ওরফে রানী। পাঁচ ভাইদের মধ্যে জিয়াউর রহমান ছিলেন দ্বিতীয়। তাঁর পিতা কলকাতা শহরে এক সরকারি দপ্তরে রসায়নবিদ হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তাঁর শৈশবের কিছুকাল বগুড়ার গ্রামে ও কিছুকাল কলকাতা শহরে অতিবাহিত হয়। ভারতবর্ষ বিভাগের পর তাঁর পিতা পশ্চিম পাকিস্তানের করাচি শহরে চলে যান। তখন জিয়া কলকাতার হেয়ার স্কুল ত্যাগ করেন এবং করাচি একাডেমী স্কুলে ভর্তি হন। ঐ স্কুল থেকে তিনি ১৯৫২ সালে কৃতিত্বের সঙ্গে মাধ্যমিক শিক্ষা সমাপ্ত করেন এবং তারপর ১৯৫৩ সালে করাচিতে ডি.জে. কলেজে ভর্তি হন। একই বছর তিনি কাবুল মিলিটারি একাডেমীতে অফিসার ক্যাডেট হিসেবে যোগদান করেন।", "জিয়াউর রহমান (ক্রিকেটার)\nমোহাম্মদ জিয়াউর রহমান (জন্ম: ২ ডিসেম্বর, ১৯৮৬) খুলনা জেলায় জন্মগ্রহণকারী বাংলাদেশের ক্রিকেটার। বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের পক্ষ হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলছেন। ডানহাতি ব্যাটসম্যান ও ডানহাতি ফাস্ট মিডিয়াম বোলাররূপে দলে প্রতিনিধিত্ব করছেন। ডাকনাম \"জনি\" হিসেবে মাঝেমাঝে স্কোরশীটে তাকে উল্লেখ করা হয়ে থাকে। ২০০৩/০৪ মৌসুমে আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপে দলের পক্ষ হয়ে খেলেছেন। এছাড়াও, ২০০৬/০৭ মৌসুমে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড সভাপতি একাদশ ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড একাডেমী দলে অংশগ্রহণ করেছেন।" ]
[ "জিয়াউর রহমান\n১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ দিবাগত রাতে পশ্চিম পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী যখন পূর্ব পাকিস্তানের নিরস্ত্র বাঙালীদের ওপর বর্বরের মতো ঘৃণ্য হামলা চালায়। সে রাতে পশ্চিম পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর হাতে পূর্ব পাকিস্তানের জনপ্রিয় বাঙালি নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান বন্দী হন। পূর্ব পাকিস্তানের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ চলে যান আত্মগোপনে। জনগণ তখন কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়ে। এই সঙ্কটময় মুহূর্তে ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ পূর্ব পাকিস্তানের রাজধানী ঢাকায় পশ্চিম পাকিস্তানী বাহিনীর বর্বর আক্রমণের পর জিয়াউর রহমান পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সাথে সম্পর্ক ত্যাগ করে বিদ্রোহ করেন এবং ২৬শে মার্চ পরে ২৭শে মার্চ চট্টগ্রাম কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করেন।", "একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী\nঅধ্যাপক একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী বা বি.চৌধুরী (জন্মঃ ১ নভেম্বর ১৯৩২) একজন বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ। জিয়াউর রহমানের শাসনামলে তিনি উপ-প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। ২০০১ সালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ক্ষমতায় আসার পর তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হন। এর কিছুদিন পর ২০০১ সালের নভেম্বর মাসে তিনি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তিনি একজন স্বনামধন্য চিকিৎসক। এছাড়া তিনি একজন লেখক, প্রাবন্ধিক, নাট্যকার, উপস্থাপক এবং সুবক্তা। ২০০২ সালে সৃষ্ট এক বিতর্কিত ঘটনার জের ধরে তিনি রাষ্ট্রপতির পদ থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন ও পরবর্তীকালে আরেকটি রাজনৈতিক দল বিকল্প ধারা বাংলাদেশ গঠন করেন।", "আরাফাত রহমান\nআরাফাত রহমান (১২ আগস্ট ১৯৭০ - ২৪ জানুয়ারি ২০১৫) হলেন বাংলাদেশের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র। তিনি কোকো নামেই অধিক পরিচিত ছিলেন।", "ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ\nঅধ্যাপক ড. ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ (জন্ম: ফেব্রুয়ারি ১, ১৯৩১ - মৃত্যু: ডিসেম্বর ১০, ২০১২) বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে তিনি সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। তিনি বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০০৬ সালের ২৯ অক্টোবর তিনি এই পদে অধিষ্ঠিত হবার জন্য শপথ গ্রহণ করেন। পরে জরুরী আইন জারি করে ২০০৭ সালের ১২ জানুয়ারি তিনি এই পদ ছেড়ে দেন। এই পদে তার স্থলাভিষিক্ত হন বিশ্ব ব্যাংকের সাবেক পরিচালক ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্ণর ড. ফখরুদ্দীন আহমদ। ২০০৯ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি জিল্লুর রহমান বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নিলে ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদের কার্যকাল সমাপ্ত হয়।", "বাংলাদেশের ইতিহাস\nজেনারেল জিয়াউর রহমান ১৯৭৭ সালের ২১শে এপ্রিল বিচারপতি সায়েমের কাছ থেকে রাষ্ট্রপতি এবং [[প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক|সিএমএলএ]] এর পদ গ্রহণ করেন। ১৯৭৮ সালের জুন মাসে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের পরে জিয়া তার রাষ্ট্রপতিত্ব ও রাজনৈতিক উচ্চাভিলাষকে গণতান্ত্রিক রূপ প্রদানের জন্য একটি রাজনৈতিক দল, [[বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল]] (বিএনপি) গঠন করেন। দেশীয় মুসলিম ঐতিহ্যের উপর জোর দিয়ে জিয়া একটি [[বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ]] ধারণার প্রথাকে তুলে ধরেন।১৯৭৯ সালে সংসদীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে বিএনপি ভূমিধ্বসের সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে এবং আওয়ামী লীগ প্রধান বিরোধী দল হিসেবে পরিণত হয়।", "আবদুস সাত্তার (রাষ্ট্রপতি)\nআব্দুস সাত্তার (১৯০৬ - ৫ অক্টোবর ১৯৮৫) বাংলাদেশের অষ্টম রাষ্ট্রপতি। তিনি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের একজন বিচারপতি ছিলেন। প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর তিনি প্রথমে ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এসময়ে তার বয়স ছিল ৭৬ বছর। পরে তিনি ১৯৮১ সালের ১৫ নভেম্বর তারিখে দেশব্যাপী অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ৬৬% ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার শাসনকালে সরকারের মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। ১৯৮২ সালে তিনি \nশারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালনে অপারগতা প্রকাশ করেন। ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ তার জায়গায় সামরিক আইন জারীর মাধ্যমে প্রধান সামরিক প্রশাসক হিসেবে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের হাতে চলে যায়।", "খালেদা জিয়া\nতার স্বামী বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি লেফটেন্যান্ট জেনারেল জিয়াউর রহমান বীরউত্তম। তার এক ভাই মেজর(অবঃ) সাইদ ইস্কান্দার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল থেকে ফেনী-১ আসনের নির্বাচিত সংসদ সদস্য ছিলেন। তার দুই ছেলের মধ্যে বড় তারেক রহমান বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। তার কনিষ্ঠ ছেলে আরাফাত রহমান কোকো ২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি মালয়েশিয়ার ইউনিভার্সিটি মালায়া হাসপাতালে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান। আরাফাত রহমান একজন ব্যবসায়ী ছাড়াও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড ও সিটি ক্লাবের সাথে যুক্ত ছিলেন।", "তারেক রহমান\nতারেক রহমান (জন্মঃ ২০ নভেম্বর ১৯৬৪ ঢাকা, বাংলাদেশ) হচ্ছেন একজন বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। তিনি সাধারনতঃ \"তারেক জিয়া\" নামে পরিচিত; যার শেষাংশটি এসেছে তার পিতা বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের নাম থেকে।" ]
92
README.md exists but content is empty. Use the Edit dataset card button to edit it.
Downloads last month
2
Edit dataset card