query
stringlengths 15
132
| positive
sequencelengths 1
9
| negative
sequencelengths 1
15
| cluster
int64 0
100
|
---|---|---|---|
ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা জর্জ গিবসন ম্যাকাউলি কি একজন ডানহাতি ব্যাটসম্যান ছিলেন ? | [
"জর্জ ম্যাকাউলি\nজর্জ গিবসন ম্যাকাউলি বা, জর্জ ম্যাকাউলে (; জন্ম: ৭ ডিসেম্বর, ১৮৯৭ - মৃত্যু: ১৩ ডিসেম্বর, ১৯৪০) ইয়র্কশায়ারের থার্সক এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ও পেশাদার ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা ছিলেন। ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯২৩ থেকে ১৯৩৩ সময়কালে ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছিলেন। ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে ইয়র্কশায়ার দলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি মিডিয়াম-ফাস্ট ও অফ স্পিন বোলিংয়ে দক্ষ ছিলেন। এছাড়াও, নিচেরসারিতে ডানহাতে ব্যাটিংয়ে সবিশেষ পারদর্শীতা প্রদর্শন করেছেন জর্জ ম্যাকাউলি।"
] | [
"জর্জ গিয়েরি\nজর্জ গিয়েরি (; জন্ম: ৯ জুলাই, ১৮৯৩ - মৃত্যু: ৬ মার্চ, ১৯৮১) লিচেস্টারশায়ারের বারওয়েল এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা ছিলেন। ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে লিচেস্টারশায়ারের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ফাস্ট মিডিয়াম বোলার হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে পারদর্শীতা দেখিয়েছেন তিনি।",
"জর্জ ডাকওয়ার্থ\nজর্জ ডাকওয়ার্থ (; জন্ম: ৯ মে, ১৯০১ - মৃত্যু: ৫ জানুয়ারি, ১৯৬৬) ল্যাঙ্কাশায়ারের ওয়ারিংটন এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত পেশাদার ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা ছিলেন। ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে ল্যাঙ্কাশায়ারের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। দলে তিনি মূলতঃ উইকেট-রক্ষকের দায়িত্ব পালন করতেন। ডানহাতে ব্যাটিং করার পাশাপাশি দলের প্রয়োজনে মাঝে-মধ্যে মিডিয়াম বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন তিনি।",
"জর্জ গান\nজর্জ গান (; জন্ম: ১৩ জুন, ১৮৭৯ - মৃত্যু: ২৯ জুন, ১৯৫৮) নটিংহ্যামশায়ারের হাকনল এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা ছিলেন। ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯০৭ থেকে ১৯৩০ সময়কালে ইংল্যান্ডের পক্ষে ১৫ টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ হয় তাঁর। ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে নটিংহ্যামশায়ারের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে বোলিংয়ে পারদর্শীতা দেখিয়েছেন।",
"গ্রাহাম ম্যাকেঞ্জি\nগ্রাহাম ডগলাস ম্যাকেঞ্জি (; জন্ম: ২৪ জুন, ১৯৪১) পার্থের কটস্লো এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক ও বিখ্যাত অস্ট্রেলীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা। ১৯৬১ থেকে ১৯৭১ সময়কালে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের পক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন তিনি। দলে তিনি মূলতঃ বোলার ছিলেন। ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া, লিচেস্টারশায়ার ও ট্রান্সভালের প্রতিনিধিত্ব করেছেন তিনি। ১৯৬৫ সালে উইজডেন কর্তৃক বর্ষসেরা ক্রিকেটাররূপে মনোনীত হন গ্রাহাম ম্যাকেঞ্জি। অস্ট্রেলিয়ার ফাস্ট বোলারদের পথিকৃৎ অ্যালান ডেভিডসনের স্থলাভিষিক্ত হন ও পরবর্তীকালে ডেনিস লিলি তাঁর স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন। ম্যাকেঞ্জি মূলতঃ তাঁর পেশীবহুল গড়ন ও চমৎকার ব্যাটিং উপযোগী পীচে উইকেট লাভের দক্ষতার জন্য পরিচিত হয়ে আছেন।",
"জর্জ ম্যাকাউলি\nক্রিকেট লেখক জিম কিলবার্ন মন্তব্য করেন যে, ম্যাকাউলি সেরা ক্রিকেটার ছিলেন। গাণিতিকভাবে তিনি হয়তোবা সেরা নন; তবে, ক্রিকেটের ক্ষেত্রে সেরা ছিলেন। তাঁর সমসাময়িক ক্রিকেটারদের মতে, জর্জ ম্যাকাউলির বোলিং ভঙ্গীমা বেশ হালকা মেজাজের ও চেষ্টাহীন ছিল। কিলবার্ন লিখেছেন, তাঁর দৌড়ানোর ভঙ্গী অনেকটা অর্ধ-খোড়াকৃতি লোকের মতো। স্বল্প পদক্ষেপ ও কাঁধ আন্দোলিত করে অগ্রসর হলেও পা ত্রুটিহীনভাবে ফেলতেন এবং বল ডেলিভারির পূর্ব-মুহুর্ত পর্যন্ত ধরে রাখতেন। তবে, ক্রিকেটবোদ্ধা ও দলীয় সঙ্গীরা তাঁকে বোলিংকালে ধৈর্য্যশীল, অতিথিবৎসল ও অগ্নিশর্মা বলে জানতেন। কিলবার্ন বলেন যে, ব্যাটসম্যানেরা ম্যাকাউলির মৃত শত্রুস্বরূপ। ব্যাটসম্যানদেরকে আউট কিংবা অপ্রস্তুত রাখতে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করতেন। তন্মধ্যে, পিচে বল না ফেলে তাঁদের মাথার উপর দিয়ে সোজাভাবে মারতেন যা বেশ ভয়ঙ্কর ও অখেলোয়াড়ীসূলভ ছিল।",
"জ্যাক হবস\nস্যার জন বেরি জ্যাক হবস (; জন্ম: ১৬ ডিসেম্বর, ১৮৮২ - মৃত্যু: ২১ ডিসেম্বর, ১৯৬৩) কেমব্রিজে জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত পেশাদার ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা ছিলেন। ১৯০৮ থেকে ১৯৩০ সালের মধ্যে ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের পক্ষে ৬১ টেস্ট খেলায় প্রতিনিধিত্ব করেছেন তিনি। ক্রিকেট বোদ্ধাদের অভিমত, জ্যাক হবস ক্রিকেটের ইতিহাসে অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান হিসেবে পরিগণিত হয়ে আসছেন। তিনি ‘দ্য মাস্টার’ ডাকনামে পরিচিতি পেয়েছেন। ডানহাতি ব্যাটসম্যান ও মাঝে-মধ্যে ডানহাতি মিডিয়াম পেস বোলার ছিলেন তিনি। কাউন্টি ক্রিকেটে সারে দলের পক্ষে খেলেছেন।",
"গ্ল্যাডস্টোন স্মল\nগ্ল্যাডস্টোন ক্লিওফাস স্মল (; জন্ম: ১৮ অক্টোবর, ১৯৬১) বার্বাডোসের সেন্ট জর্জ এলাকায় জন্মগ্রহণকারী প্রথিতযশা সাবেক ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৮৬ থেকে ১৯৯২ সময়কালে ইংল্যান্ডের পক্ষে সতেরো টেস্ট ও তিপ্পান্নটি একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশ নিয়েছেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতে ফাস্ট-মিডিয়াম বোলিং করতেন। এছাড়াও, নিচেরসারিতে ডানহাতে কার্যকরী ব্যাটসম্যানের পরিচয় তুলে ধরতেন গ্ল্যাডস্টোন স্মল।",
"এম. জে. কে. স্মিথ\nমাইকেল জন নাইট স্মিথ, ওবিই (; জন্ম: ২০ জুন, ১৯৩৩) লিচেস্টারের ওয়েস্টকোটস এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ও সাবেক ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা। ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে স্লো মিডিয়াম বোলিং করতেন এম. জে. কে. স্মিথ নামে পরিচিত মাইক স্মিথ। ১৯৫৬ সালে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ক্রিকেট ক্লাব, ১৯৫৭ থেকে ১৯৬৭ পর্যন্ত ওয়ারউইকশায়ার কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাব এবং ১৯৬৩ থেকে ১৯৬৬ সাল পর্যন্ত ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ইংল্যান্ডের অন্যতম জনপ্রিয় ক্রিকেট অধিনায়ক হিসেবে পরিচিতি ছিল তাঁর। রাগবি ইউনিয়নে তাঁর অংশগ্রহণ ছিল। তিনিই ইংল্যান্ডের সর্বশেষ দ্বৈত আন্তর্জাতিক খেলোয়াড় হিসেবে অংশ নেন।",
"জ্যাক ম্যাকব্রায়ান\nজন জ্যাক ক্রফোর্ড উইলিয়াম ম্যাকব্রায়ান (; জন্ম: ২২ জুলাই, ১৮৯২ - মৃত্যু: ১৪ জুলাই, ১৯৮৩) উইল্টশায়ারের বক্স এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা ছিলেন। ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯২৪ সময়কালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন। ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে সমারসেট দলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন জ্যাক ম্যাকব্রায়ান। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন।"
] | 34 |
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন প্রথম কোথায় শুরু হয় ? | [
"জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের ইতিহাস\n১৯৪৮ সালে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন শুরু হয়। এর প্রথম মিশন ছিল ১৯৪৮ সালে মধ্যপ্রাচ্যে ১৯৪৮ আরব-ইসরায়েলি যুদ্ধের সময় যুদ্ধবিরতি পালন ও বজায় রাখা। তারপর থেকে, জাতিসংঘের শান্তিরক্ষীরা বিশ্বব্যাপী প্রায় ৬৩টি মিশনে অংশগ্রহণ করেছে, ১৭টি আজও অব্যাহত রয়েছে। ১৯৮৮ সালে সংস্থাটি শান্তিতে নোবেল লাভ করে।"
] | [
"জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের ইতিহাস\nলীগ অব নেশনস-নিয়ন্ত্রিত ইন্টারন্যাশনাল ফোর্স ফর সের (১৯৩৪-৩৫) \"আন্তর্জাতিক শান্তি পর্যবেক্ষক বাহিনীর প্রথম প্রকৃত উদাহরণ\" হতে পারে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর কোন সরকারী শান্তিরক্ষী মিশনের আগে, জাতিসংঘ ত্রিস্তার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। ১৯৪৭ থেকে ১৯৫৪ পর্যন্ত, জাতিসংঘ নিয়ন্ত্রিত টেরেস্টকে স্বাধীন শহর ঘোষণা করা হয়েছিল। অঞ্চলটিকে দুটি অঞ্চল বিভক্ত করা হয়, যা পরবর্তীতে ইতালি ও যুগোস্লাভিয়ার মধ্যবর্তী অঞ্চলের বিভাগের ভিত্তি তৈরি করে। প্রথমে শান্তিরক্ষা মিশন আরব-ইসরায়েলি যুদ্ধের সময় ১৯৪৮ সালে মধ্যপ্রাচ্যে নিযুক্ত জাতিসঙ্ঘের পর্যবেক্ষকদের একটি দল ছিল। মিশনটি আনুষ্ঠানিক ভাবে ২৯ শে মে, ১৯৪৮ তারিখে অনুমোদিত হয় । এই তারিখ শান্তিরক্ষীদের মধ্যে যারা শহীদ হয়েছেন তাঁদের স্মরণে পালিত হত । জাতিসংঘের মহড়া পরিচালনা সংস্থা ( ইউএনটিএসএসও ), তখন থেকেই এই অঞ্চলের বেশ কয়েকটি সংঘাতের জন্য পর্যবেক্ষক সরবরাহ করেছে। ১৯৪২ সালে ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে ১৯৪৭ এর ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের পর অনুরূপ মিশনে নিযুক্ত করা হয়। তারা সীমান্তে নজরদারি চালিয়ে যাচ্ছে।",
"জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের ইতিহাস\nস্নায়ু যুদ্ধের শেষের দিকে জাতিসংঘ বিশ্ব ঐতিহ্যের একটি সংগঠন হওয়ার আহ্বান জানানোর জন্য বেশ কয়েকটি দেশকে এবং বিশ্বজুড়ে দ্বন্দ্বের অবসানকে আরও উৎসাহিত করে। নিরাপত্তা পরিষদে রাজনৈতিক দমনের শেষ পর্যায়ে শান্তিরক্ষা মিশনের সংখ্যাগরিষ্ঠতা বৃদ্ধি পায়। সহযোগিতার নতুন শক্তিতে, নিরাপত্তা পরিষদ বৃহত্তর এবং আরো জটিল জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশন প্রতিষ্ঠা করে। অধিকন্তু, শান্তিরক্ষায় আরও বেশি সংখ্যক অসামরিক উপাদান অন্তর্ভুক্ত করা হয়, যা নির্বাচনের মতো নাগরিক ফাংশনের যথাযথ পরিচালনা নিশ্চিত করে। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনী পরিচালনার জন্য ১৯৯২ সালে এই ধরনের মিশনের বর্ধিত চাহিদা সমর্থন করে।",
"জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের ইতিহাস\n১৯৯১ সালে, ইউএসএসআর এর পতনের ফলে নির্মিত রাজনৈতিক পরিস্থিতি কোরিয়ান যুদ্ধের পর যৌথ স্বায়ত্তশাসনের প্রথম স্পষ্টভাবে অনুমোদিত অভিযান অনুমোদন করে: উপসাগরীয় যুদ্ধে কুয়েত থেকে ইরাকে উৎখাত করা। যুদ্ধের অবসানের পর জাতিসংঘ অনুমোদিত জাতিসংঘের ইরাক-কুয়েত অবজার্শন মিশন (UNIKOM) দুদেশের মধ্যে DMZ নজরদারি করার জন্য অনুমোদন করেছে। জাতিসংঘের শান্তিরক্ষায় দুই ধরনের আন্তঃ রাষ্ট্রীয় দ্বন্দ্ব চলছে তখন থেকে।১৯৯৪ সালে জাতিসংঘের Aouzou Strip পর্যবেক্ষক গ্রুপ (ইউএনএএসওজি) আন্তর্জাতিক আদালতের বিচার অনুসারে লিবিয়ার প্রতিদ্বন্দ্বী অঞ্চল থেকে একটি ফাঁকা স্থান থেকে প্রত্যাহারের লক্ষ্যে কাজ করে। ২০০০ সালে, ইরিত্রিয়া-ইথিওপিয়ান যুদ্ধের পর যুদ্ধের অবসান নিরীক্ষণের জন্য জাতিসংঘের মিশন ইথিওপিয়া এবং ইরিত্রিয়া (ইউএনএমইই) প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল।",
"বাংলাদেশ পুলিশ\n১৯৮৯ সালে নামিবিয়ায় বাংলাদেশ পুলিশের প্রথম জাতিসংঘের সান্তি মিশনের প্রতিনিধি দলের সদস্র হিসেবে কাজ করে। এরপর থেকে যথাক্রমে বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যরা আইভরি কোষ্ট, সুদান, দারফুর, লাইবেরিয়া, কসাবো, পূর্ব তিমুর, ডি আর কঙ্গো, অ্যাঙ্গোলা, হাইতিসহ অন্যান্য মিশনে কাজ করে। ২০০৫ সালে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী মিশন আইভরি কোষ্টে প্রথম সন্নিবেশিত পুলিশ ইউনিট (এফপিইউ) কাজ শুরু করে। শান্তিরক্ষী মিশনে সবোর্চ্চ সংখ্যক পুলিশ সদস্যের উপস্থিতি বাংলাদেশের।বর্তমানে পৃথিবীর ছয়টি দেশে চলমান সাতটি জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী মিশনে দুইটি নারী পুলিশ সদস্যের সমন্বিত এফপিইউ সহ (যার একটি কঙ্গোতে অন্যটি হাইতি তে) সর্বমোট ২০৫০ জন কর্মরত আছেন।",
"জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের ইতিহাস\nতবে সেখানে নিয়মে একটি ব্যতিক্রম ছিল। ডমিনিকান প্রজাতন্ত্রের (ডোম্রেপ) ১৯৬৫-১৯৬৬ সালের সাধারণ সম্পাদকের মিশনের মিশনে জাতিসংঘের একটি দেশের পর্যবেক্ষক মিশন অনুমোদিত হয় যেখানে মতাদর্শগত দলগুলোর মুখোমুখি হয়। যাইহোক, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বামপন্থী ও রক্ষণশীল দলগুলোর মধ্যে গৃহযুদ্ধে একতরফাভাবে হস্তক্ষেপ করার পর এই মিশন শুরু হয়েছিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার দৃঢ় সংহতি এবং শান্তি বজায় রাখার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংগঠন (মার্কিন সৈন্যবাহিনী দ্বারা পরিচালিত) একটি বাহিনী আমন্ত্রণ জানায়। মিশনটি প্রধানত অনুমোদন করা হয়েছিল কারণ আমেরিকানরা এটিকে সমর্থনযোগ্য হিসেবে উপস্থাপন করেছিল এবং জাতিসংঘের মিশনটি সম্পূর্ণ শান্তিচুক্তি বাহিনী ছিল না। এটি যেকোনো সময় শুধুমাত্র দুই পর্যবেক্ষক অন্তর্ভুক্ত করে এবং অন্য আন্তর্জাতিক সংস্থায় শান্তিচুক্তি ছেড়ে চলে যায়। এটি প্রথমবারের মতো জাতিসংঘের একটি আঞ্চলিক গোষ্ঠীর সাথে এই পদ্ধতিতে পরিচালিত হয়। স্নায়ু",
"জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের ইতিহাস\nসোভিয়েত ইউনিয়নের পতন এবং perestroika আবির্ভাবের সঙ্গে, সোভিয়েত ইউনিয়ন ব্যাপকভাবে \"বিশ্বব্যাপী\" বেশ কয়েকটি \"প্রক্সি\" গৃহযুদ্ধের জন্য সামরিক এবং অর্থনৈতিক সমর্থন হ্রাস করে। ইউএসজিএমএপি, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী মিশন, আফগানিস্তান থেকে সোভিয়েত বাহিনী প্রত্যাহার এবং আফগানিস্তান থেকে সোভিয়েত বাহিনী প্রত্যাহারের জন্য ইউএসএসআর দেশীয়ভাবে পুনর্বিবেচনা করার জন্য এটি তৈরি করেছে। ১৯৯১ সালে, ইউএসএসআর ১৫ স্বাধীন রাজ্যে দ্রবীভূত দুই সাবেক সোভিয়েত প্রজাতন্ত্র, জর্জিয়ার জর্জিনিয়ান-আবখাজিয়ান দ্বন্দ্ব এবং তাজিকিস্তানে একটি গৃহযুদ্ধে দ্বন্দ্ব ছড়িয়ে পড়ে, যা অবশেষে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা বাহিনী, জাতিসংঘ এবং ইউএনএমোটের অনুগত ছিল।",
"জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের ইতিহাস\nমধ্যপ্রাচ্য, যেখানে যোদ্ধারা সাধারণত উচ্চ শক্তির দেশ গুলির সাথে দৃঢ়ভাবে সংযুক্ত ছিল না, যারা প্রধান প্রধান তেল উৎপাদনকারী অঞ্চলে স্থিতিশীলতা চেয়েছিল, এটি ছিল শীতল যুদ্ধের সময় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষার সবচেয়ে দৃশ্যমান বিষয়। ১৯৫৮ সালে ইউএনওজিআইএল এটি নিশ্চিত করার জন্য অনুমোদিত হয়েছিল যে, লেবাননের সীমানার মধ্যে প্রধানত সংযুক্ত আরব প্রজাতন্ত্রের বাহিনীতে কর্মীদের বেআইনি অনুপ্রবেশ বা অস্ত্র সরবরাহ করা হয়নি। কয়েক বছর পরে, ইয়েমেন পর্যবেক্ষক মিশন (UNYOM), ১৯৬৩ সালে অনুমোদিত, আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী মিশর ও সৌদি আরব দ্বারা সমর্থিত পক্ষের সাথে ইয়েমেনের গৃহযুদ্ধ শেষ করার চেষ্টা করে। ১৯৭০-এর দশকের মধ্যে, জাতিসংঘের ১৯৭৩ সালে সুয়েজ (ইউএনএএফ ২) -তে এবং ১৯৭৪ সালে গোলাম হাইটস (ইউএনডিএএফ) -তে ইয়োম কিনবার যুদ্ধ শেষ করে এবং লেবানন (ইউএনএফআইএল) -কে আরব-ইসরায়েলি দ্বন্দ্ব শান্ত করার জন্য কয়েকটি শান্তিরক্ষা মিশনের অনুমোদন দেয়। দুই দেশের মধ্যে প্রায় আট বছর যুদ্ধের পর ইরাক ও ইরানের মধ্যে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সীমান্তে সৈন্য প্রত্যাহারের তত্ত্বাবধানের জন্য ১৯৭৮ সালে দক্ষিণ লেবানন সংঘাতের পর ১৯৮০-র দশকে শুধুমাত্র একটি নতুন মিশন এই অঞ্চলে অনুমোদিত ছিল (UNIIMOG)।",
"জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের ইতিহাস\nজাতিসংঘ বেশ কয়েকটি দেশের মধ্যে গৃহযুদ্ধ শেষ করার লক্ষ্যে একক শান্তিরক্ষা মিশন সংগঠিত করেছে। সেন্ট্রাল আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রে, MINURCA (১৯৯৮) সাবেক CAR সামরিক বাহিনী ও মিলিশিয়াগুলির কয়েকটি বিদ্রোহী গোষ্ঠীর নিরস্ত্রীকরণের তত্ত্বাবধানের পাশাপাশি একটি নতুন জাতীয় পুলিশ প্রশিক্ষণ এবং নির্বাচন চলাকালে সহায়তা করার জন্য তৈরি করা হয়েছিল। আরও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার জন্য সফল নির্বাচনের পরে মিশন বর্ধিত করা হয়েছিল। সিওরা লিওনে, জাতিসংঘ / ইউএনএএসএসএল) ১৯৯৯ সালে অভ্যুত্থানের পর ইকোমোজি-এর নেতৃত্বে সরকার পুনর্গঠন করে। ১৯৯৯ সালে, কঙ্গো গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রে দ্বিতীয় কঙ্গো যুদ্ধের পর যুদ্ধবিরতি নিরীক্ষণের জন্য ডিজাইন করা হয়েছিল- এটি ডিআরসি-র অংশে অব্যাহত সহিংসতার কারণে চলতে থাকে। কোট ডি আইভরির মধ্যে, ইউএনওসিআই আইভরিয়ান গৃহযুদ্ধ শেষ করে ২০০৪ সালের শান্তি চুক্তিকে কার্যকর করার জন্য পাঠানো হয়েছিল, যদিও দেশ বিভক্ত হয়ে পড়েছে। বুরুন্ডি সিভিল ওয়ার শেষ হওয়ার পর যুদ্ধবিরতি চুক্তির পর, ONUB-কে ২০০৪ সালে আরুশা শান্তি চুক্তির বাস্তবায়ন তত্ত্বাবধানে অনুমোদিত করা হয়।",
"আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস\nইউক্রেনের শান্তিরক্ষী সংস্থা এবং ইউক্রেন সরকারের যৌথ প্রস্তাবনায় ১১ ডিসেম্বর, ২০০২ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের গৃহীত ৫৭/১২৯ প্রস্তাব অণুযায়ী এ দিবসের রূপরেখা প্রণয়ন করা হয়। ২০০৩ সালে আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস প্রথম উদযাপন করা হয়। ১৯৪৮ সালে সংঘটিত আরব-ইসরাইলী যুদ্ধকালীন যুদ্ধবিরতী পর্যবেক্ষণে গঠিত জাতিসংঘ ট্রুস সুপারভিশন অর্গ্যানাইজেশন (আন্টসো) দিনকে উপজীব্য করে ২৯ মে তারিখটি স্থির করা হয়েছে। উল্লেখ্য, জাতিসংঘ ট্রুস সুপারভিশন অর্গ্যানাইজেশন (আন্টসো)-ই হচ্ছে প্রথম জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনী।"
] | 74 |
ডাব্লিউডাব্লিউই ক্রীঢ়া বিনোদন টেলিভিশন প্রোগ্রামটি কবে প্রথম চালু হয় ? | [
"ডাব্লিউডাব্লিউই\nঅন্যান্য পেশাদার কুস্তি প্রচারের মতোই, WWE শোগুলি বৈধ প্রতিযোগিতা নয়, তবে সম্পূর্ণরূপে বিনোদন-ভিত্তিক, কাহিনী-চালিত, স্ক্রিপ্টযুক্ত এবং নৃত্যচিত্রযুক্ত মিলগুলি সমন্বিত করে, যদিও ম্যাচগুলি প্রায়শই এমন পদক্ষেপগুলি অন্তর্ভুক্ত করে যা সঠিকভাবে সঞ্চালিত না হলে পারফরম্যান্সকারীদের আঘাতের ঝুঁকিতে রাখতে পারে। 1989 সালে এ্যাথলেটিক কমিশন থেকে ট্যাক্স এড়াতে WWW এর মালিক ভিনস ম্যাকমাহন দ্বারা এটি সর্বজনীনভাবে স্বীকার করা হয়েছিল। 1980 এর দশকে, WWE জনসাধারণের খেলাধুলা বিনোদন হিসাবে তাদের পণ্য ব্র্যান্ড করেছে, প্রতিযোগিতামূলক খেলা এবং নাটকীয় থিয়েটারে পণ্যটির শিকড় স্বীকার করে।",
"ডাব্লিউডাব্লিউই স্ম্যাকডাউন\nডাব্লিউডাব্লিউই স্ম্যাকডাউন!, এছাড়াও রস্ম্যাকডাউন! লাইভ বা মঙ্গলবারের রাতের স্ম্যাকডাউন! হিসেবে পরিচিত, হল ক্রীঢ়া বিনোদন টেলিভিশন অনুষ্ঠান। ১৯৯৯ সালের ২৬ আগষ্টে স্ম্যাকডাউন প্রচার শুরু হয়। ২০০৫ সালের সেপ্টেম্বর ১ পর্যন্ত বৃহস্পতিবারের রাতে স্ম্যাকডাউন! প্রচার করা হত। ২০০৫ সালের ৯ সেপ্টেম্বর থেকে শুক্রবারের রাতে স্ম্যাকডাউন! প্রচার শুরু হয়। ২০১৫ সালের ১৫ জানুয়ারি পুনরায় স্ম্যাকডাউন বৃহস্পতিবারে প্রচার শুরু হয়। ২০১৬ সালের ১৯ জুলাই থেকে বুধবার আর সরাসরি স্ম্যাকডাউন প্রচার শুরু হয়। কিন্তু বিস্ময়ের ব্যাপার যে সেপ্টেম্বর ৪ আর অক্টোবর ৩০ তারিখে শুক্রবার স্ম্যাকডাউন আয়োজন করা হয়েছিল। \"স্ম্যাকডাউন!\" আসলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ১৯৯৯ সালের ২৯ এপ্রিলে ইউপিএন টেলিভিশন নেটওয়ার্কে প্রচার শুরু হয়। ২০০৬ সালের সেপ্টেম্বর থেকে দ্য সিডাব্লিউতে প্রচার শুরু হয়। ২০০৮ সালের অক্টোবর মাস থেকে স্ম্যাকডাউন! মাইনেটওয়ার্কটিভিতে স্থান্তর করা হয়। এবং পূর্বনির্ধারিত সময় অনুযায়ী ২০১৬ সালে ইউএসএ নেটওয়ার্কে প্রচার শুরু হবে \"ডাব্লিউডাব্লিউই র\" এর পর এটা বৃহত্তম টেলিভিশন অনুষ্ঠান।\n\"ডাব্লিউডাব্লিউই স্ম্যাকডাউন!\" এর প্রথম পর্ সরাসরি ১৬২টি ভিন্ন অঞ্চলে, ১৪৭টা শহরে, সাতটি ভিন্ন দেশে প্রচার করা (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, যুক্তরাজ্য, Iraq in 2006 and 2007 for specials Tribute to the Troops, ২০০৫ এ জাপান, ২০০৭ সালে ইতালি, ২০১১ এ মেক্সিকো)।",
"ডাব্লিউডাব্লিউই র\nডাব্লিউডাব্লিউই র (এছাড়াও WWE Monday Night Raw হিসেবে পরিচিত) হল ক্রীঢ়া বিনোদন টেলিভিশন প্রোগ্রাম। যেটি প্রত্যেক সপ্তাহের সোমবারের বিকালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ইউএস নেটওয়ার্ক সরাসরি প্রচার করে। এই অনুষ্ঠানটি ১৯৯৩ সালের ১১ জানুয়ারি থেকে প্রচার শুরু শুরু হয়েছে এবং এটা ডাব্লিউডাব্লিউইর প্রধান প্রোগ্রাম।"
] | [
"ডাব্লিউডাব্লিউই ২০৫ লাইভ\nডাব্লিউডাব্লিউই ২০৫ লাইভ, সহজ ভাষায় ২০৫ লাইভ হল ক্রীড়া বিনোদন টেলিভিশন প্রোগ্রাম। এটি একটি সরাসরি পেশাদার কুস্তি অনুষ্ঠান, যেটি ডাব্লিউডাব্লিউই দ্বারা পরিচালিত। এই অনুষ্ঠানটি ডাব্লিউডাব্লিউই নেটওয়ার্কে সম্প্রচারিত হয়। এই অনুষ্ঠানে শুধুমাত্র ক্রুজারওয়েট বিভাগের কুস্তিগীররা কুস্তি করেন। এই অনুষ্ঠানে কুস্তি করা সকল কুস্তিগীরদের অজন ২০৫ পাউন্ড বা তার নিচে।",
"ডাব্লিউডাব্লিউই র\nডব্লিউডব্লিউএফের সোমবার নাইট রায়ের শুরুতে, অনুষ্ঠানটি প্রথম জানুয়ারী 11, 1993 এ মার্কিন নেটওয়ার্ককে প্রাইম টাইম রেস্টলিংয়ের প্রতিস্থাপন হিসাবে প্রচারিত হয়েছিল, যা আট বছরের জন্য নেটওয়ার্ক সম্প্রচার করেছিল। মূল কাঁচা দৈর্ঘ্যে 60 মিনিট ছিল এবং টেলিভিশনের পেশাদার কুস্তিতে নতুন স্থল ভেঙ্গেছিল। ঐতিহ্যগতভাবে, কুস্তি শো ছোট শ্রোতা বা বড় আঙ্গিনা শো এ শব্দ পর্যায়ে টেপ করা হয়। কাঁচা সূত্রটি সুপারস্টার এবং রেস্টলিং চ্যালেঞ্জের মতো সম্প্রচারিত টেপড উইকএন্ড শো থেকে আলাদা ছিল। স্টুডিও ভয়েস ওভার এবং টেপড আলোচনার সাথে মিলিয়ে সপ্তাহের আগে টেপের পরিবর্তে, Raw একটি শো শট এবং লাইভ দর্শকদের কাছে সম্প্রচারিত হয়েছিল, এগুলি ঘটেছে এমন কোণগুলির সাথে খেলছে।",
"ডাব্লিউডাব্লিউই এনএক্সটি\nডাব্লিউডাব্লিউই এনএক্সটি হল ডাব্লিউডাব্লিউই এর জন্য পেশাদারি কুস্তি উন্নয়নমূলক শাখা। এটা উইন্টার পার্ক, ফ্লোরিডায় অবস্থিত। এটার প্রতিষ্ঠাতা ট্রিপল এইচ (পল লেভেসকিউ)। ২০১২ সালের আগষ্ট মাস থেকে ২০১৩ সালের জুন মাস পর্যন্ত , এটা ছিল স্বতন্ত্র। কিন্তু এটা ডাব্লিউডাব্লিউ এর উন্নায়নমূলক শাখা। ২০১৩ সালের জুন মাসে এনএক্সটি রেসলিং এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং সকল কন্টেন্ট ডাব্লিউডাব্লিউই.কম এ স্থান্তর করা হয়। ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে, এনএক্সটি টেলিভিশন সিরিজ শুরু করে। যেটা ডাব্লিউডাব্লিউই নেটিওয়ার্ক এ প্রচার করা হয়।",
"ডাব্লিউডাব্লিউই\n২9 শে এপ্রিল, 1999 এ, ডাব্লুডব্লিউএফ স্মারড টেলিভিশনে ফিরে আসেন, স্ম্যাকডাউন নামে পরিচিত একটি বিশেষ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন! নতুন ইউপিএন নেটওয়ার্কের উপর। বৃহস্পতিবার রাতে অনুষ্ঠানটি ২6 শে আগস্ট, 1999-তে একটি সাপ্তাহিক সিরিজ হয়ে ওঠে - টিবিএস-তে ডাব্লুসিডাব্লিউ বৃহস্পতিবার রাতের প্রোগ্রাম থান্ডারের সাথে সরাসরি প্রতিযোগিতা করে। ২000 সালে, ডাব্লুবিএফ টেলিভিশন নেটওয়ার্ক এনবিসি'র সহযোগিতায়, ২001 সালে শুরু হওয়া একটি নতুন পেশাদারী ফুটবল লীগ এক্সএফএল গঠনের ঘোষণা দেয়। [32] লীগের প্রথম কয়েক সপ্তাহের জন্য উচ্চ রেটিং ছিল, তবে প্রাথমিক আগ্রহ হ্রাস পেয়েছিল এবং এর রেটিংগুলি নিম্ন স্তরে কমিয়ে গেছে (তার গেমগুলির মধ্যে একটি হল আমেরিকান টেলিভিশনে ইতিহাসের সর্বনিম্ন-রেটযুক্ত প্রধান সময়সূচী ছিল)। এনবিসি শুধুমাত্র এক মৌসুমের পর এই উদ্যোগে চলে গেলেন, কিন্তু ম্যাকমাহন একা থাকতে চান। যাইহোক, ইউপিএন-এর সাথে চুক্তিতে পৌঁছাতে অক্ষম হওয়ার পর, ম্যাকমাহন এক্সএফএল বন্ধ করে দেন। [33]",
"ডাব্লিউডাব্লিউই\n1983 সালে এনডাব্লুএএ-এর বার্ষিক সভায় ম্যাকমাহন এবং সাবেক ক্যাপিটল কর্মচারী জিম বার্নেট সমস্ত প্রতিষ্ঠান থেকে প্রত্যাহার করেন। [16] ম্যাকমাহন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সিন্ডিকেটেড টেলিভিশনে ডাব্লু ডব্লিউএফএফ প্রোগ্রামিং করার জন্যও কাজ করেন। এটি অন্যান্য প্রমোটারকে রাগান্বিত করে এবং বিভিন্ন কুস্তি প্রচারের সুনির্দিষ্ট সীমানাগুলিকে ব্যাহত করে, অবশেষে 1940-এর দশকে এনডাব্লুএএ-র প্রতিষ্ঠার পর থেকে এটি ব্যবহার করা হয়। এছাড়া, প্রতিযোগী প্রমোটার্স থেকে প্রতিভা সুরক্ষিত করার জন্য কোম্পানি বিজ্ঞাপন, টেলিভিশন পুলিশ এবং টেপ বিক্রয় দ্বারা উত্পন্ন আয় ব্যবহার করে।",
"ডাব্লিউডাব্লিউই র\n17 মে, ২01২ তারিখে, ডাব্লু ডব্লুএইচ এবং ইউএসএ নেটওয়ার্ক ঘোষণা করেছিল যে রায়টি 23 জুলাই ২01২ তারিখে 1000 তম পর্বের সাথে শুরু হওয়া স্থায়ী তিন-ঘন্টা ফর্ম্যাটে চলে যাবে। [8] তারপরে, সম্প্রচারের সমস্ত তিন ঘন্টা কেবল কাঁচা হিসাবে পরিচিত, যদিও তারা এখনও নিলসেন রেটিংগুলির উদ্দেশ্যে তিনটি পৃথক প্রোগ্রাম বলে মনে করা হয় (যেমন প্রতি ঘন্টা শেষে প্রদর্শিত পর্দার কপিরাইট বিজ্ঞপ্তি দ্বারা নির্দেশিত)। 2008 সালে, রায় এইচডি একটি নতুন পর্যায়ে debuting। ২010 সালে, ডাব্লুডিআইয়ের সমস্ত সাদা প্রকল্পে তের বছর পর কাঁচা রুপের জন্য রেপ র্যাপস রিটায়ার করা হয়েছিল এবং 2012 সালে সমস্ত ডাব্লু ডাব্লুএইচই প্রোগ্রামিংয়ের জন্য আদর্শ হয়ে উঠেছিল। ২01২ সালে, রায় তাদের এইচডি সেট আপডেট করেছিল। [25]",
"ডাব্লিউডাব্লিউই\nপরবর্তী কয়েক বছর ধরে ডাব্লুডব্লিউএফ ব্যবসা ম্যাকমাহনের কাঁধে এবং তার বাচ্চাদের নায়ক হલ્ક হোগানকে উল্লেখযোগ্যভাবে প্রসারিত করেছিল। 1985 সালে এনবিসিতে শনিবার নাইটের প্রধান ইভেন্টের প্রবর্তন প্রথমবারের মতো চিহ্নিত হয়েছিল যে পেশাদার কুস্তিটি নেটওয়ার্ক টেলিভিশনে সম্প্রচারিত হয়েছিল, যখন এখন-নিষ্ক্রিয় DuMont টেলিভিশন নেটওয়ার্ক ভিন্স ম্যাকমাহন সিনিয়র ক্যাপিটল রেস্টলিং কর্পোরেশন সম্প্রচারিত ম্যাচ। 1 9 80 এর দশকে \"রেস্টলিং বুম\" প্রতিযোগিতায় 1987 সালে পন্টিয়াক সিভারডোমে রেসলমেনিয়া তৃতীয় বেতন-প্রতি-দৃশ্যের সাথে শীর্ষে উঠেছিল, যা 93,173 এর উপস্থিতি রেকর্ড করে, যা রেকর্ড রেলেমম্যানিয়া 32 পর্যন্ত ২9 বছর ধরে দাঁড়িয়েছিল। [24] WWF চ্যাম্পিয়ন হલ્ક হোগান এবং আন্দ্রে দ্য জায়ান্টের মধ্যে রেসলমেনিয়া তৃতীয় প্রধান ইভেন্টের পুনর্বিবেচনা 1988 সালে দ্য মুইন ইভেন্টে অনুষ্ঠিত হয়েছিল এবং 33 মিলিয়ন মানুষ, উত্তর আমেরিকার টেলিভিশন ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি দেখা কুস্তি ম্যাচ দেখেছিল। [25]",
"ডাব্লিউডাব্লিউই\n২00২ সালে শুরু হওয়া প্রথম খসড়া উদ্বোধনী বিভক্ত রস্টারগুলি নির্ধারণের জন্য এবং প্রতিটি শোগুলির রোস্টারগুলি রিফ্রেশ করার জন্য ডিজাইন করা পরবর্তী ড্রাফ্টগুলি রস্টারগুলি নির্ধারণের জন্য প্রতি বছর একটি খসড়া লটারি অনুষ্ঠিত হয়। ২6 মে, 2006 তারিখে, ডাব্লু ডব্লুএইচই ঘোষণা করেছিল, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের ব্র্যান্ড হিসাবে ইসিডাব্লুটি পুনরায় চালু হবে। নতুন ইসিডব্লিউ প্রোগ্রাম 16 ফেব্রুয়ারী, ২010 পর্যন্ত প্রচারিত হয়। [3 9] সেই সময়ে সকল ইসিডব্লিউ কুস্তিগীর ফ্রি এজেন্ট হয়ে ওঠে যা রায় বা স্ম্যাকডাউন সাইন ইন করতে পারে।"
] | 73 |
সর্বপ্রথম কত সালে পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা করা হয়েছিল ? | [
"পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা\nপরমাণু অস্ত্র পরীক্ষার প্রথম ঘটনাটি ঘটে ১৬ জুলাই, ১৯৪৫ সালে। ঐদিন ম্যানহাটন প্রকল্পের আওতায় যুক্তরাষ্ট্রের নিউ মেক্সিকো অঙ্গরাজ্যের অ্যামোগোর্দো'র কাছে পরীক্ষা চালানো হয়েছিল। প্রকল্পের কোড নেম ছিল ট্রিনিটি।"
] | [
"পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা\n১৯৪২ সালের দিকে \"আলিয়ানোভস্কের\" একটি গবেষণাগারে কাজ করেছেন আন্দ্রে শাখারভ। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষে মহাজাগতিক রশ্মি নিয়ে গবেষণা করেন তিনি। ১৯৪৮ এর মাঝামাঝি সময়ে \"ইগোর কুর্চাতোভ\" এবং \"ইগোর ট্যামকে\" সাথে নিয়ে সোভিয়েত আণবিক বোমা প্রকল্পে অংশ নেন। ২৯ আগস্ট, ১৯৪৯ সালে প্রথমবারের মতো সোভিয়েত আণবিক অস্ত্র পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। ১৯৫০ সালে সারোভে তিনি প্রথমবারের মতো মেগাটন-দূরত্বের সোভিয়েত হাইড্রোজেন বোমা নক্সার মান উন্নয়নে প্রধান ভূমিকা নেন। এ নক্সাই পরবর্তীকালে শাখারভের তৃতীয় চিন্তা নামে রাশিয়া এবং টেলার-উলাম নক্সা নামে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পরিচিতি লাভ করে। ১৯৫৫ সালে \"আরডিএস-৩৭\" নামে প্রথম পরীক্ষা চালানো হয়। এরচেয়েও ব্যাপক মাত্রায় ও একই নক্সায় শাখারভ কাজ করেছিলেন। ৫০ মেগাটন ওজনের জার বোম্বা নামে অক্টোবর, ১৯৬১ সালে পরীক্ষা চালানো হয়। স্মরণাতীতকালের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ও বিশ্বের সর্ববৃহৎ পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা হিসেবে এর বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। বিস্ফোরণ পরবর্তী সময়ে মাশরুম আকৃতির বিরাট কৃত্রিম মেঘমালা ১৬০ কি.মি. দূর থেকেও দৃশ্যমান হয়েছিল। এছাড়াও, ৫৬ কি.মি. উঁচু স্থান থেকে স্পষ্ট দেখা গিয়েছিল এ মেঘমালা।",
"পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা\nসাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন তাদের তৈরীকৃত প্রথম আণবিক বোমা (আরডিএস-১) ২৯ আগস্ট, ১৯৪৯ সালে আবিস্কার করে। কিন্তু এর পূর্বেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ছয়টি পারমাণবিক বোমা পরীক্ষা করে ফেলে। ১৯৪৬ সালে অপারেশন ক্রসরোড নামে দুইটি পরমাণু বোমার পরীক্ষামূলক বিস্ফোরণ ঘটায় যা ছিল তাদের ঐসময়কার তুলনায় ২০% বেশী। ১৯৫০-এর দশকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পরমাণু পরীক্ষার জন্য তাদের নিজস্ব এলাকা হিসেবে \"নেভাদা টেস্ট সাইট\" এবং মার্শাল দ্বীপপুঞ্জের \"প্যাসিফিক প্রোভিং গ্রাউন্ড\" গড়ে তোলে।",
"পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা\nআণবিক ও পারমাণবিক বোমা পরীক্ষণের প্রেক্ষাপটে অনেক ধরণের ক্ষতিকর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারে। ১৯৫৪ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের \"ক্যাসল ব্র্যাভো\" এলাকায় পরিচালিত আণবিক পরীক্ষার প্রেক্ষাপটে একগুচ্ছ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কথা তুলে ধরা হয়েছিল। এতে ক্ষতির মাত্রা অত্যন্ত বিপজ্জনক স্তরে পৌঁছে এবং ১০০ মাইলেরও অধিক আয়তনবিশিষ্ট জনবসতিপূর্ণ দ্বীপ এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। পাশাপাশি আশপাশের অনেকগুলো জনবসতিপূর্ণ এলাকায়ও এর প্রভাব লক্ষ্য করা গিয়েছিল। যদিও এর প্রতিক্রিয়া দ্রুত ঘটে থাকে; তবুও অন্যান্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আক্রান্ত হয়ে দ্বীপবাসীরা ভুগতে থাকেন। তন্মধ্যে ছিল - তেজস্ক্রিয়তাজনিত কারণে পুড়ে যাওয়া, ক্যান্সারে আক্রান্তের হার বৃদ্ধি পাওয়া এবং জন্ম বিকলাঙ্গতা।",
"২০০৯ সালে উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক পরীক্ষা\n২০০৯ সালের উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক পরীক্ষা বলতে ২০০৯ সালের ২৫শে মে উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক অস্ত্রর মাধ্যমে ভূগর্ভে পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষাকে মূলতঃ বোঝায়। এটি দেশটির দ্বিতীয় পারমাণবিক পরীক্ষা ছিল প্রথম পরীক্ষাটি সালের অক্টোবরে করা হয়। এই পরীক্ষাটি সারা বিশ্বব্যাপী নিন্দিত হয়। এই পরীক্ষার পরপরই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা পরিষদ একটি নিরাপত্তা নীতিমালা, \"রেজুলেশন ১৮৭৪\" পাস করে এবং উত্তর কোরিয়ার অনুমোদনের ব্যাপারে আরো সচেতন হয়। দেশটির উত্তরাধিকার সংকটের ফলস্বরূপই এই পরীক্ষাটি চালানো হয়েছিল বলে ধারণা করা হয়। ২০০৮ এর গ্রীষ্মে কিম জোং-ই এর স্ট্রোকের পর, তার তৃতীয় পুত্র, কিম জোং-উন এর উপর দায়িত্বভার অর্পিত হয়। অধিকাংশের ধারণা,নিজেদের সম্ভাব্য সংকটকালীন সময়েও উত্তর কোরিয়া পারমানবিক অস্ত্র গবেষণা থেকে পিছু পা হয়নি প্রমান করতেই এই পারমাণবিক পরীক্ষাটি করা হয়।",
"জার বোম্বা\n১৯৪৮ সালের মাঝামাঝি সময়ে ইগোর কুর্চাতোভ এবং ইগোর ট্যামকে সাথে নিয়ে সোভিয়েত আণবিক বোমা প্রকল্পে অংশ নেন আন্দ্রে শাখারভ। ২৯ আগস্ট, ১৯৪৯ সালে প্রথমবারের মতো সোভিয়েত আণবিক অস্ত্র পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। ১৯৫০ সালে সারোভে তিনি প্রথমবারের মতো মেগাটন-দূরত্বের সোভিয়েত হাইড্রোজেন বোমা নক্সার মান উন্নয়নে প্রধান ভূমিকা নেন। এ নক্সাই পরবর্তীকালে শাখারভের তৃতীয় চিন্তা নামে রাশিয়ায় এবং টেলার-উলাম নক্সা নামে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পরিচিতি লাভ করে। ১৯৫৫ সালে আরডিএস-৩৭ নামে প্রথম পরীক্ষা চালানো হয়। এরচেয়েও ব্যাপক মাত্রায় এবং একই নক্সায় শাখারভ কাজ করেছিলেন।",
"পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা\nবিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পারমাণবিক বোমা আবিস্কার ও উন্নয়নের জন্য উদ্যোগী হয়। যুদ্ধক্ষেত্র হিসেবে তারাই একমাত্র দেশ হিসেবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানের হিরোশিমা এবং নাগাসাকি নগরীতে পৃথক দু'টি আণবিক বোমা পতনপূর্বক বিস্ফোরণ ঘটায়। সরকারী হিসেব মোতাবেক স্নায়ুযুদ্ধকালীন সময়ের পূর্বে ও পরবর্তী সময়ে ১০৫৪টিরও অধিক পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা কার্য পরিচালনা করে। এছাড়াও তারা অনেক দূরপাল্লার অস্ত্র নির্মাণে প্রভূতঃ উন্নয়ন ঘটায়।",
"পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা\nএ অস্ত্রের পরীক্ষাসহ নতুন ধরণের হাইড্রোজেন বোমা আবিস্কার ও পরীক্ষার ফলে বিজ্ঞানীমহল কল্পনাও করতে পারেননি যে মনুষ্য সমাজের জন্য কত বিপজ্জনক হতে পারে এটি। বিস্ফোরণের ফলাফল ছিল ১৫ মেগাটন বা টিএনটি সমমানের যা পূর্বেকার পরীক্ষণের তুলনায় দ্বিগুণ ক্ষমতাসম্পন্ন। এছাড়াও এটি বিপুল পরিমাণে তেজস্ক্রিয় পদার্থ ছড়িয়ে ফেলতে সক্ষম যা মানবদেহের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। আবহাওয়া স্তরের পাশাপাশি জীববৈচিত্র্যে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করে যা আগাম চিত্র পরিস্কারভাবে তুলে ধরা সম্ভব নয়।",
"পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা\nসোভিয়েত ইউনিয়ন সীমিত মাত্রায় বিশেষ করে কাজাখিস্তানে পরমাণু অস্ত্রের পরীক্ষা শুরু করে। এরই প্রেক্ষাপটে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কে শৈথিল্যের সূত্রপাত হয়, যা ইতিহাসে স্নায়ুযুদ্ধ বা ঠাণ্ডা যুদ্ধ বা শীতল যুদ্ধ নামে পরিচিত। কিন্তু উভয় দেশই পরমাণু অস্ত্রের পরীক্ষা কার্য অব্যাহত গতিতে চালাতে থাকে। তারা বিংশ শতকের অর্ধেকেরও বেশি সময়কাল শত শত পারমাণবিক বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নিজেদের শক্তিমত্তা ও সক্ষমতা যাচাই করেছে।",
"আন্দ্রে শাখারভ\n১৯৪২ সালের দিকে \"আলিয়ানোভস্কের\" একটি গবেষণাগারে কাজ করেছেন তিনি। ২য় বিশ্বযুদ্ধ শেষে মহাজাগতিক রশ্মি নিয়ে গবেষণা করে। ১৯৪৮ এর মাঝামাঝি সময়ে \"ইগোর কুর্চাতোভ\" এবং \"ইগোর ট্যামকে\" নিয়ে সোভিয়েত আণবিক বোমা প্রকল্পে অংশ নেন শাখারভ। ২৯ আগস্ট, ১৯৪৯ সালে প্রথমবারের মতো সোভিয়েত আণবিক অস্ত্র পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। ১৯৫০ সালে সারোভে চলে যান তিনি। সেখানে তিনি প্রথমবারের মতো মেগাটন-দূরত্বের সোভিয়েত হাইড্রোজেন বোমা নক্সার মান উন্নয়নে প্রধান ভূমিকা নেন। এ নক্সাই পরবর্তীকালে শাখারভের তৃতীয় চিন্তা নামে রাশিয়া এবং টেলার-উলাম নক্সা নামে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পরিচিতি লাভ করে। ১৯৫৫ সালে \"আরডিএস-৩৭\" নামে প্রথম পরীক্ষা চালানো হয়। এরচেয়েও ব্যাপক মাত্রায় ও একই নক্সায় শাখারভ কাজ করেছিলেন। \"৫০এমটি জার বোম্বা\" নামে অক্টোবর, ১৯৬১ সালে পরীক্ষা চালানো হয় যা স্মরণাতীতকালের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী পারমাণবিক বোমার বিস্ফোরণ ঘটেছিল।"
] | 50 |
ব্রিটিশ লেখিকা জে. কে. রাউলিং রচিত হ্যারি পটার উপন্যাস সিরিজের চতুর্থ খন্ডটির নাম কী ? | [
"হ্যারি পটার\n২০০০ সালের মধ্যেই এই সিরিজটি আংশিকভাবে প্রকাশকদের ব্যবসার নীতির কারণে ও বহুলাংশে পাঠকদের বিশেষ করে তরুণ ছেলে পাঠকদের কারণে হাই-প্রোফাইল হিসেবে পরিগণিত হয়। ২০০০ সালের মধ্যে ভিডিও গেমস ও ইন্টারনেটের কারণে বইয়ের আকর্ষন অন্য দিকে চলে যায়। রাউলিং এর প্রকাশকগন দ্রুত এই সিরিজের তিনটি বই প্রকাশ করে পাঠদের মন জয় করেন এবং তাদের কে হ্যারি পটারের একান্ত ভক্ত করে তুলেন। ফলে সিরিজটির উত্তেজনা বিন্দুমাত্র না কমে ছড়িয়ে পড়ে। মাতামাতির চরম মুহুর্তে বিপুল মিডিয়া কভারেজের মাধ্যমে ২০০০ সালে হ্যারি পটারের চতুর্থ বই\"হ্যারি পটার এন্ড দি গবলেট অফ ফায়ার\" প্রকাশিত হয়।",
"হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য গবলেট অব ফায়ার\nহ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য গবলেট অফ ফায়ার (ইংরেজিতে Harry Potter and the Goblet of Fire) ব্রিটিশ লেখিকা জে. কে. রাউলিং রচিত হ্যারি পটার উপন্যাস সিরিজের চতুর্থ বই। এটি ২০০০ সালের ৮ জুলাই প্রকাশিত হয়। বইটি ২০০১ সালে হুগো অ্যাওয়ার্ড অর্জন করে।"
] | [
"হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য ডেথলি হ্যালোস\nহ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য ডেথলি হ্যালোস (ইংরেজি: Harry Potter and the Deathly Hallows) ব্রিটিশ লেখিকা জে. কে. রাউলিং রচিত \"হ্যারি পটার\" উপন্যাস সিরিজের সপ্তম ও সর্বশেষ খন্ড। বইটি ২০০৭ সালের ২১ জুলাই প্রকাশিত হয়। পূর্ববর্তী খন্ড \"হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য হাফ-ব্লাড প্রিন্স\" এর কাহিনীর ধারাবাহিকতায় এ বইটির প্রেক্ষাপট তৈরি হয়েছে। এ বইটির মাধ্যমে হ্যারি পটার সিরিজের সমাপ্তি ঘটে।\n\"হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য ডেথলি হ্যালোস\" যুক্তরাজ্যে ব্লুমসবারি পাবলিশিং, যুক্তরাষ্ট্রে স্কলাস্টিক, কানাডায় রেইনকোস্ট বুকস এবং অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে অ্যালান & আনউইন প্রকাশ করে। এটি আন্তর্জাতিকভাবে ৯৩ টি দেশে একই সাথে প্রকাশিত হয়। \"ডেথলি হ্যালোস\" বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুততম বিক্রিত বই হিসেবে রেকর্ড করে। প্রথম ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই এটির ১৫ মিলিয়ন কপি বিক্রি হয়। এই বইটি বিশ্বের বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়েছে। এর মধ্যে বাংলা, হিন্দি, ইউক্রেনীয়, পোলীয়, সুয়েডীয়, আরবি, ফরাসি, জার্মান প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।",
"হ্যারি পটার\nহ্যারি পটার ( ) হচ্ছে ব্রিটিশ লেখিকা জে. কে. রাউলিং রচিত সাত খন্ডের কাল্পনিক উপন্যাসের একটি সিরিজ। এই সিরিজের উপন্যাসগুলিতে জাদুকরদের পৃথিবীর কথা বলা হয়েছে এবং কাহিনী আবর্তিত হয়েছে হ্যারি পটার নামের এক কিশোর জাদুকরকে ঘিরে, যে তার প্রিয় বন্ধু রন উইজলি ও হারমায়নি গ্রেঞ্জারকে সাথে নিয়ে নানা অ্যাডভেঞ্চারে অংশ নেয়। কাহিনীর বেশিরভাগ ঘটনা ঘটেছে হগওয়ার্টস স্কুল অব উইচক্র্যাফট এন্ড উইজার্ডরিতে। মূল চরিত্র হ্যারি পটারের বড় হওয়ার পথে যেসব ঘটনা ঘটে, তার শিক্ষাজীবন, সম্পর্ক ও অ্যাডভেঞ্চার নিয়েই কাহিনী রচিত হয়েছে। আবার বইটিতে মানুষের বন্ধুত্ব, উচ্চাশা, ইচ্ছা, গর্ব, সাহস, ভালবাসা, মৃত্যু প্রভৃতিকে জাদুর দুনিয়ার জটিল ইতিহাস, বৈচিত্র্যপূর্ণ অধিবাসী, অনন্য সংস্কৃতি ও সমাজ প্রভৃতির দৃষ্টিকোণ থেকে বর্ণনা করা হয়েছে। এর কাহিনী মূলত কালো-যাদুকর লর্ড ভলডেমর্ট, যে জাদু সাম্রাজ্যে প্রতিপত্তি লাভের উদ্দেশ্যে হ্যারির বাবা-মাকে হত্যা করেছিল ও তার চিরশত্রু হ্যারি পটারকে কেন্দ্র করেই আবর্তিত হয়েছে।",
"হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য ফিলোসফার্স স্টোন\nহ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য ফিলোসফার্স স্টোন () ব্রিটিশ লেখিকা জে. কে. রাউলিং রচিত \"হ্যারি পটার\" নামক কাল্পনিক উপন্যাস সিরিজের প্রথম উপন্যাস। এখানে হ্যারি পটার নামে একজন জাদুকরের কথা বলা হয়েছে, যে এগার বছর বয়সে সর্বপ্রথম আবিষ্কার করে যে সে একজন জাদুকর এবং হগওয়ার্টস নামের একটি জাদুবিদ্যা শিক্ষার স্কুলে ভর্তি হয়। হগওয়ার্টসে সে রন উইজলি ও হারমায়োনি গ্রেঞ্জার এর সাথে বন্ধুত্ব গড়ে তোলে এবং তাদের সহযোগিতায় কালো জাদুকর লর্ড ভলডেমর্টকে পরাজিত করে এবং পরশপাথরটিকে উদ্ধার করে। ভলডেমর্টই হ্যারির এক বছর বয়সে তার বাবা মাকে হত্যা করেছিল এবং তাকেও হত্যার চেষ্টা করেছিল।",
"হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য হাফ-ব্লাড প্রিন্স\nহ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য হাফ-ব্লাড প্রিন্স (ইংরেজিতে Harry Potter and the Half-Blood Prince) ব্রিটিশ লেখিকা জে. কে. রাউলিং রচিত হ্যারি পটার উপন্যাস সিরিজের ষষ্ঠ বই। এটি ২০০৫ সালের ১৬ জুলাই প্রকাশিত হয়। বইটিতে হ্যারি পটার হগওয়ার্টস স্কুলে তার ষষ্ঠ বর্ষে পদার্পন করে। বইটিতে লর্ড ভলডেমর্টের অতীত জীবনের বিস্তারিত বর্ণনা দেয়া হয়েছে। এ বই থেকেই হ্যারি ও অন্যান্যরা শেষ লড়াইয়ের প্রস্তুতি নেয়া শুরু করে। এছাড়া, হ্যারি ও তার বন্ধুদের বয়োঃসন্ধিকালের বিভিন্ন সমস্যা, সম্পর্কের জটিলতা ও আবেগের দ্বন্দ্ব প্রভৃতি বিষয় এই বইটির অন্যতম উপজীব্য বিষয়।",
"হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য চেম্বার অব সিক্রেটস\nহ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য চেম্বার অফ সিক্রেটস (ইংরেজিতে Harry Potter and the Chamber of Secrets) ব্রিটিশ লেখিকা জে কে রাউলিং রচিত \"হ্যারি পটার\" উপন্যাস সিরিজের দ্বিতীয় বই। বইটি ১৯৯৮ সালের ২ জুলাই যুক্তরাজ্যে এবং ১৯৯৯ সালের ২ জুন যুক্তরাষ্ট্রে প্রকাশিত হয়।",
"জে কে রাউলিং\nহ্যারি পটার সিরিজের ১ম গল্পটি লেখা শেষ করার পর বইটি প্রকাশ করার জন্য প্রকাশকদের কাছে অনেক ঘুরতে হয়েছিল রাউলিংকে। প্রকাশকদের ধারণা ছিল বইটি তাঁদের ব্যবসায়িকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন করবে। আটজন প্রকাশক ফিরিয়ে দেওয়ার পর ব্লুমসবারি নামের একটি প্রকাশনী ১৯৯৭ সালের ২৬ জুন হ্যারি পটার সিরিজের প্রথম বই 'হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য ফিলোসফার্স স্টোন' প্রকাশ করে। এরপরের ইতিহাস সকলেরই জানা। একেবারে অচেনা-অজানা জে.কে. রাউলিং হয়ে যান বিশ্ববিখ্যাত। যে রাউলিংকে এর আগে তার পরিবার ও পরিচিত জনরা ছাড়া অন্য কেউ চিনতো না। বিশ্বব্যাপী হ্যারি পটার সিরিজের ৩৫ কোটি কপি বিক্রি হয়েছে। তবে সবচেয়ে আশ্চর্যজনক বিষয় হলো জে.কে. রাউলিং এর লেখা হ্যারি পটার সিরিজের বই কেনার জন্য প্রকাশিত হওয়ার আগের দিন রাত থেকে মানুষ বইয়ের দোকানের সামনে লাইন দিতো।",
"হারমায়নি গ্রেঞ্জার\nহারমায়নি জিন গ্রেঞ্জার (ইংরেজিতে Hermione Jean Granger) ব্রিটিশ লেখিকা জে. কে. রাউলিং রচিত \"হ্যারি পটার\" উপন্যাস-সিরিজের এক কাল্পনিক চরিত্র। সিরিজের প্রথম উপন্যাস \"হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য ফিলোসফার্স স্টোন\" থেকে পরবর্তী প্রতিটি উপন্যাসে তার উপস্থিতি রয়েছে। সিরিজে সে হ্যারি পটার ও রন উইজলির অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বন্ধু হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। তার চরিত্রে বিচক্ষণতা ও বুদ্ধির সমন্বয় ঘটেছে। রাউলিং বলেছেন যে, তিনি হারমায়নির মধ্যে তার নিজের ছোটবেলার চরিত্রকে প্রকাশ করেছেন।",
"সেভেরাস স্নেপ\nসেভেরাস স্নেপ (ইংরেজি ভাষায় Severus Snape) ব্রিটিশ লেখিকা জে. কে. রাউলিং রচিত \"হ্যারি পটার\" উপন্যাস সিরিজের একটি কাল্পনিক চরিত্র। প্রথম উপন্যাস \"হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য ফিলোসফার্স স্টোন\" এ তিনি প্রাথমিক খলনায়কদের একজন হলেও পরবর্তীকালে তাঁর চরিত্রটি আরো জটিল এবং রহস্যময় হয়ে উঠে। রাউলিং স্নেপের প্রকৃত চরিত্র ও আনুগত্য প্রকাশ করেন সিরিজের সর্বশেষ বই \"হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য ডেথলি হ্যালোস\" এ। স্নেপ সিরিজের সাতটি বইয়ের প্রতিটিতে উপস্থিত ছিলেন।",
"রুবিয়াস হ্যাগ্রিড\nরুবিয়াস হ্যাগ্রিড (ইংরেজি: Rubeus Hagrid) ব্রিটিশ লেখিকা জে. কে. রাউলিং রচিত হ্যারি পটার উপন্যাস সিরিজের একটি কাল্পনিক চরিত্র। সে সকলের কাছে হ্যাগ্রিড নামেই পরিচিত। সে হগওয়ার্টসের চাবি ও মাঠের রক্ষক এবং গেমকিপার। হগওয়ার্টসে হ্যারি পটারের তৃতীয় বর্ষে হ্যাগ্রিড কেয়ার অফ ম্যাজিকাল ক্রিয়েচার্স বিষয়ের শিক্ষক হিসেবে নিযুক্ত হয়। সিরিজে পরবর্তীতে জানা যায় যে, হ্যাগ্রিড অর্ডার অফ দ্য ফিনিক্সের সদস্য।"
] | 39 |
চর্যাপদের পুঁথি কে আবিষ্কার করেছিলেন ? | [
"চর্যাপদ\nবাংলায় মুসলমান আধিপত্য প্রতিষ্ঠিত হবার আগে ব্রাহ্মণ্য হিন্দুসমাজের পীড়নের আশঙ্কায় বাংলার বৌদ্ধগণ তাঁদের ধর্মীয় পুঁথিপত্র নিয়ে শিষ্যদেরকে সঙ্গী করে নেপাল, ভুটান ও তিব্বতে পলায়ন করেছিলেন– এই ধারণার বশবর্তী হয়ে হরপ্রসাদ শাস্ত্রী চারবার নেপাল পরিভ্রমণ করেন। ১৮৯৭ সালে বৌদ্ধ লোকাচার সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহের জন্য তিনি প্রথমবার নেপাল ভ্রমণ করেন। ১৮৯৮ সালের তার দ্বিতীয়বার নেপাল ভ্রমণের সময় তিনি কিছু বৌদ্ধ ধর্মীয় পুঁথিপত্র সংগ্রহ করেন। ১৯০৭ খ্রিস্টাব্দে তৃতীয়বার নেপাল ভ্রমণকালে \"চর্যাচর্যবিনিশ্চয়\" নামক একটি পুঁথি নেপাল রাজদরবারের অভিলিপিশালায় আবিষ্কার করেন। \"চর্যাচর্যবিনিশ্চয়\", সরহপাদের দোহা এবং অদ্বয় বজ্রের সংস্কৃত \"সহজাম্নায় পঞ্জিকা\", কৃষ্ণাচার্য বা কাহ্নপাদের দোহা, আচার্যপাদের সংস্কৃত \"মেখলা\" নামক টীকা ও আগেই আবিষ্কৃত \"ডাকার্ণব\" পুঁথি একত্রে ১৯১৬ খ্রিস্টাব্দে (শ্রাবণ, ১৩২৩ বঙ্গাব্দ) বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ থেকে \"হাজার বছরের পুরাণ বাঙ্গালা বৌদ্ধগান ও দোঁহা\" শিরোনামে সম্পাদকীয় ভূমিকাসহ প্রকাশ করেন হরপ্রসাদ শাস্ত্রী। হরপ্রসাদ শাস্ত্রী মোট ৪৬টি পূর্ণাঙ্গ ও একটি খণ্ডিত পদ পেয়েছিলেন। পুঁথিটির মধ্যে কয়েকটি পাতা ছেঁড়া ছিল। প্রবোধচন্দ্র বাগচী চর্যার যে তিব্বতি অনুবাদ সংগ্রহ করেন তাতে আরও চারটি পদের অনুবাদসহ ওই খণ্ডপদটির অনুবাদও পাওয়া যায়। মূল পুঁথির পদের সংখ্যা ছিল ৫১। মূল তিব্বতি অনুবাদের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, মূল পুঁথির নাম \"চর্যাগীতিকোষ\" এবং এতে ১০০টি পদ ছিল। হরপ্রসাদ শাস্ত্রী আবিষ্কৃত পুঁথিটি \"চর্যাগীতিকোষ\" থেকে নির্বাচিত পুঁথিসমূহের সমূল টীকাভাষ্য।",
"নৈহাটি\nহরপ্রসাদ শাস্ত্রী, একজন প্রখ্যাত ভাষাতাত্ত্বিক, ভারততত্ত্ববিদ, বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস রচয়িতা - তাঁরও আদিবাড়ি এখানেই। হরপ্রসাদ শাস্ত্রী নেপালের রাজকোষাগার থেকে চর্যাপদের পুঁথি আবিষ্কারের জন্য বিখ্যাত। এই আবিস্কারের ওপর রচিত তার গবেষণা গ্রন্থ \"হাজার বছরের পুরান বাঙ্গালা ভাষায় রচিত বৌদ্ধ গান ও দোঁহা\" নামে ১৯১৬ সালে প্রকাশ পায়, যা বাংলা সাহিত্যের আদিতম নিদর্শন ও অমূল্য সম্পদ। এ ছাড়াও উনি অনেক প্রাচীন পুঁথি ও গ্রন্থ আবিষ্কার করেন।"
] | [
"বসন্তরঞ্জন রায় বিদ্বদ্বল্লভ\nতিনি বহু গ্রামে পুঁথির সন্ধান করে সারা জীবনে প্রায় ৮০০ পুঁথি সংগ্রহ করেছিলেন এবং সেগুলি বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদকে দান করেছিলেন । তিনি বিষ্ণুপুরের কাছে কালিয়া গ্রামের নিবাসী দেবেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের বাড়ির গোয়াল ঘরের মাচা থেকে ১৩১৬ বঙ্গাব্দে বড়ু চণ্ডীদাসের শ্রীকৃষ্ণকীর্তন পুঁথি আবিষ্কার করেন । এটি ছিল তাঁর জীবনের সর্বশ্রেষ্ঠ কীর্তি । চর্যাপদের পরে শ্রীকৃষ্ণকীর্তন বাংলা সাহিত্যে দ্বিতীয় নিদর্শন।",
"হরপ্রসাদ শাস্ত্রী\nপুরাতন পুঁথি সংগ্রহের মাধ্যমে চর্যাপদ গবেষণা করে বাংলা সাহিত্যের প্রাচীনত্বকে প্রমাণিত করেন। ‘গোপাল তাপনি’ উপনিষদের ইংরেজী অনুবাদে তিনি রাজেন্দ্রলাল মিত্রের সহযোগী ছিলেন। ‘ভারতবর্ষের ইতিহাস’ গ্রন্থ রচনা ও প্রত্নতাত্ত্বিক খননকার্যের ফলে প্রাপ্ত লেখা থেকে পাঠোদ্ধার এবং পুঁথি আবিষ্কার ও টীকা রচনা করে ভারতবর্ষের প্রাচীন সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিষয়ে বিশেষ অবদান রাখেন। ১৮৯১ খ্রিষ্টাব্দে রাজেন্দ্রলাল মিত্রের মৃত্যুর পর এশিয়াটিক সোসাইটি কর্তৃক সংস্কৃত পুঁথিসংগ্রহের কাজে অধ্যক্ষ নিযুক্ত হন। এই কাজে তিনি নেপাল. তিব্বত ভ্রমণ করেন।",
"প্যারানথ্রোপাস বয়েজি\n১৯৫৯ সালের ১৭ জুলাই নৃতত্ত্ববিদ ম্যারী লিকি তানজানিয়ার অলদুভাই গর্জে একটি মাথার খুলি আবিষ্কার করেন। এই জীবাশ্মটি (ডাক নাম \"নাটক্র্যাকার ম্যান\") বেশ ভালোভাবে সংরক্ষিত ছিল। অনুমান করা হয় এর বয়স সাড়ে ১৭ লক্ষ বছরের পুরোনো। এই স্থুলকায় অস্ট্রালোপিথেসিনের স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য ছিল। ম্যারী এবং তার স্বামী লুইস লিকি এই প্রজাতির নাম \"জিঞ্জানথ্রোপাস বয়েজি\" রাখেন। এখানে \"\"জিঞ্জ\"\" শব্দটি মধ্য আফ্রিকার জাঞ্জ এলাকার নাম থেকে উদ্ভুত; আর \"\"এন্থ্রোপাস\"\" ( প্রাচীন গ্রিকে: ἄνθρωπος, \"এনথ্রোপোস\") অর্থ হলো \"মানুষ\" এবং \"\"বয়েজি\"\" শব্দটি এসেছে; লিকি পরিবারের এই জীবাশ্ম অন্বেষণের জন্য যে অর্থের প্রয়োজন তার পৃষ্ঠপোষকতাকারী চার্লস ওয়াটসন বয়েজীর নাম থেকে।",
"প্যারানথ্রোপাস বয়েজি\n১৯৫৯ সালের ১৭ জুলাই নৃতত্ত্ববিদ ম্যারী লিকি তানজানিয়ার অলদুভাই গর্জে একটি মাথার খুলি আবিষ্কার করেন। এই জীবাশ্মটি (ডাক নাম \"নাটক্র্যাকার ম্যান\") বেশ ভালোভাবে সংরক্ষিত ছিল। অনুমান করা হয় এর বয়স সাড়ে ১৭ লক্ষ বছরের পুরোনো। এই স্থুলকায় অস্ট্রালোপিথেসিনের স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য ছিল। ম্যারী এবং তার স্বামী লুইস লিকি এই প্রজাতির নাম \"জিঞ্জানথ্রোপাস বয়েজি\" রাখেন। এখানে \"\"জিঞ্জ\"\" শব্দটি মধ্য আফ্রিকার জাঞ্জ এলাকার নাম থেকে উদ্ভুত; আর \"\"এন্থ্রোপাস\"\" ( প্রাচীন গ্রিকে: ἄνθρωπος, \"এনথ্রোপোস\") অর্থ হলো \"মানুষ\" এবং \"\"বয়েজি\"\" শব্দটি এসেছে; লিকি পরিবারের এই জীবাশ্ম অন্বেষণের জন্য যে অর্থের প্রয়োজন তার পৃষ্ঠপোষকতাকারী চার্লস ওয়াটসন বয়েজীর নাম থেকে।",
"শ্রীকৃষ্ণকীর্তন\n১৯০৯ সালে বাঁকুড়া জেলার বেলিয়াতোড় গ্রামের বাসিন্দা বসন্তরঞ্জন রায় বিদ্বদ্বল্লভ প্রাচীন পুঁথির অনুসন্ধান করতে গিয়ে ঐ জেলারই বিষ্ণুপুর শহরের নিকটবর্তী কাকিল্যা গ্রামে জনৈক দেবেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে প্রথম শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যের পুথি আবিষ্কার করেন। তাঁর গোয়ালঘরের মাঁচায় এই পুথিটি তুলে রাখা ছিল। দেবেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় ছিলেন বনবিষ্ণুপুরের মল্লরাজগুরু শ্রীনিবাস আচার্যের দৌহিত্রের বংশধর। পুথিটির সঙ্গে প্রাপ্ত চিরকূটটি থেকে জানা যায় যে আড়াই শত বছর আগে বিষ্ণুপুরের ‘গাঁথাঘর’ অর্থাৎ রাজগ্রন্থশালায় এটি রাখা ছিল।",
"চর্যাপদের কবিগণ\nআবিষ্কৃত পুঁথিটিতে ৫০টি চর্যায় মোট ২৪ জন সিদ্ধাচার্যের নাম পাওয়া যায়। এঁরা হলেন: লুই, কুক্কুরী, বিরুআ, গুণ্ডরী, চাটিল, ভুসুকু, কাহ্ন, কাম্বলাম্বর, ডোম্বী, শান্তি, মহিত্তা, বীণা, সরহ, শবর, আজদেব, ঢেণ্ঢণ, দারিক, ভাদে, তাড়ক, কঙ্কণ, জঅনন্দি, ধাম, তান্তী পা, লাড়ীডোম্বী। এঁদের মধ্যে লাড়ীডোম্বীর পদটি পাওয়া যায়নি। ২৪, ২৫ ও ৪৮ সংখ্যক পদগুলি হরপ্রসাদ শাস্ত্রী আবিষ্কৃত পুঁথিতে না থাকলেও ডক্টর প্রবোধচন্দ্র বাগচী আবিষ্কৃত তিব্বতি অনুবাদে এগুলির রচয়িতার নাম উল্লিখিত হয়েছে যথাক্রমে কাহ্ন, তান্তী পা ও কুক্কুরী। এই নামগুলির অধিকাংশই তাঁদের ছদ্মনাম এবং ভনিতার শেষে তাঁরা নামের সঙ্গে 'পা' (কম্বলাম্বরের বংশজ। তিনি প্রথম জীবনে বিষ্ণুনগরের রাজা ছিলেন। তাঁর জীবৎকাল নয় শতকের শেষভাগ। তিনি দারিক পার শিষ্য ছিলেন বলে অনুমান করা হয়।",
"শ্রীকৃষ্ণকীর্তন\nশ্রীকৃষ্ণকীর্তন বড়ুচণ্ডীদাস নামক জনৈক মধ্যযুগীয় কবি রচিত রাধাকৃষ্ণের প্রণয়কথা বিষয়ক একটি আখ্যানকাব্য। ১৯০৯ সালে বসন্তরঞ্জন রায় বিদ্বদ্বল্লভ বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুরের নিকটবর্তী কাঁকিল্যা গ্রাম থেকে অযত্নরক্ষিত অবস্থায় এই কাব্যের একটি পুথি আবিষ্কার করেন। ১৯১৬ সালে তাঁরই সম্পাদনায় বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ থেকে ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ নামে পুথিটি প্রকাশিত হয়; যদিও কারও কারও মতে মূল গ্রন্থটির নাম ছিল ‘শ্রীকৃষ্ণসন্দর্ভ’। বৌদ্ধ-সহজীয়া গ্রন্থ চর্যাপদের পর এটিই আদি-মধ্য বাংলা ভাষার প্রাচীনতম আবিষ্কৃত নিদর্শন।",
"প্রমথনাথ বসু\nপ্রমথনাথ ১৮৮০ সালে দেশে ফিরে আসেন ও জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ায় কাজ করতে থাকেন। বিলেতে তিনি ভারতীয় জাতীয়তাবাদী নেতাদের সাহায্য করতেন ও তাদের আশ্রয় দিতেন ইত্যাদি রাজনৈতিক কারনে কর্মক্ষেত্রে তার পদোন্নতি হয়নি। ১৯০৩ সালে তিনি পদত্যাগ করেন। কিছুদিন প্রেসিডেন্সি কলেজে ভূবিদ্যার অধ্যাপনা করেন। চাকরি জীবনে মধ্যপ্রদেশ রাজ্যে ডাল্লি রাজহারা লৌহ খনি আবিষ্কার করে সুখ্যাতি পেয়েছিলেন। এই লৌহখনিকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠে ভিলাই কারখানা। ময়ূরভঞ্জ জেলায় লৌহখনির আবিষ্কার তার শ্রেষ্ঠ কীর্তি যার ফলে গড়ে ওঠে জামশেদপুর টাটা ইস্পাত কারখানা। জামশেদজি টাটাকে তিনিই পরামর্শ দেন ইস্পাত কারখানা স্থাপনে। রানীগঞ্জ, দার্জিলিং, আসামে কয়লা এবং সিকিমে তামার খনির অনুসন্ধান করেন। বর্মাতেও খনিজ অনুসন্ধান চালিয়েছেন। রাজনীতির ক্ষেত্রে গঠনমূলক কাজে অগ্রনী ছিলেন। বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনে যোগদান করেছিলেন তিনি। বেঙ্গল টেকনিকাল ইনস্টিটিউটের (অধুনা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়) অধ্যক্ষ ও পরে পরিদর্শক হন। ভারতীয় শিল্প, বাণিজ্য বিস্তার, বাংলায় বিজ্ঞান চেতনা প্রসারে চেষ্ঠা করেছেন। তিনি কলকাতার এশিয়াটিক সোসাইটিরও সদস্য ছিলেন।"
] | 50 |
মোস্তাফা জব্বার কোন রাজনৈতিক দলের সদস্য ছিলেন ? | [
"মোস্তাফা জব্বার\nছাত্রজীবনে মোস্তাফা জব্বার রাজনীতি, মুক্তিযুদ্ধ, সাহিত্য চর্চা, সাংবাদিকতা, নাট্য আন্দোলনের সাথে ব্যাপকভাবে জড়িত ছিলেন। ১৯৭১ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি তার লেখা বাংলাদেশের প্রথম গণনাট্য ‘এক নদী রক্ত’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রশিক্ষক কেন্দ্রে মঞ্চস্থ হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠকালে তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার অন্যতম নেতা ছিলেন। ১৯৭৩ সালে তিনি ছাত্রলীগের পক্ষে নির্বাচন করে সূর্যসেন হলের নাট্য ও প্রমোদ সম্পাদক নির্বাচিত হন। স্বাধীনতার আগে তিনি সাপ্তাহিক জনতা পত্রিকায় লেখালেখির সাথে যুক্ত ছিলেন।"
] | [
"মোস্তাফা জব্বার\nদেশে কম্পিউটারের শুল্ক ও ভ্যাট মুক্ত আন্দোলন ও শিক্ষায় কম্পিউটার প্রচলনের জন্য মোস্তাফা জব্বার এখন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক অনেক কমিটির সদস্য। তিনি কপিরাইট বোর্ড এবং বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক অথরিটির সদস্য। ২০০৭ সালের ২৬ মার্চ তিনি ডিজিটাল বাংলাদেশ ধারণা সম্পর্কে প্রথম নিবন্ধ লেখেন এবং তার দ্বারাই ২০০৮ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার লিপিবদ্ধ হয়। তিনি কম্পিউটার বিষয়ে অনেকগুলো বই লিখেছেন এবং তিনি নবম ও দশম শ্রেণীর কম্পিউটার বিষয়ক পাঠ্যপুস্তক মাধ্যমিক কম্পিউটার শিক্ষা বইটির লেখক। উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের “তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি” বই-এর লেখক তিনি। এছাড়াও উচ্চ মাধ্যমিক কম্পিউটার শিক্ষা, প্রাথমিক কম্পিউটার শিক্ষা, মাল্টিমিডিয়া ও অন্যান্য প্রসঙ্গ ছাড়াও তার লেখা কম্পিউটারে প্রকাশনা, মাইক্রোসফট ওয়ার্ড, মাইক্রোসফট এক্সেল ও তার সম্পাদিত কম্পিউটার অভিধান বিষয়ক বই ও রয়েছে। তার প্রথম উপন্যাস নক্ষত্রের অঙ্গার ২০০৫ সালে প্রকাশিত হয়েছে। সুবর্ণে শেকড় নামে আরেকটি উপন্যাস তিনি লিখছেন। এছাড়াও কম্পিউটার কথকতা, ডিজিটাল বাংলা, একুশ শতকের বাংলা, বাঙ্গালী ও বাংলাদেশ, ডিজিটাল বাংলাদেশ এবং একাত্তর ও আমার যুদ্ধ তার লেখা বইগুলোর অন্যতম। \nবাংলাদেশ টেলিভিশনের ‘ব্যবসায় তথ্যপ্রযুক্তি’, ‘কম্পিউটার’ ও ডিজিটাল বাংলাদেশ টক শো-এর মাধ্যমে এবং এটিএন বাংলার ‘কম্পিউটার প্রযুক্তি’ এবং চ্যানেল আই এর ‘একুশ শতক’ অনুষ্ঠানের সহায়তায় ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার মাধ্যমেও তিনি কম্পিউটারকে সাধারণ মানুষের কাছে জনপ্রিয় করে তুলেন।",
"মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেন\nপ্রত্যক্ষ রাজনীতিতে তাঁর পদচারণা সপ্তম সংসদ নির্বাচনের আগে। এসময় তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপিতে যোগ দেন। ১৯৯৭ সাল থেকে দীর্ঘদিন তিনি ফেনী জেলা বিএনপির সভাপতি ও দলের জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলেন। তিনি সংসদের বিরোধী দলীয় নেত্রী ও বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ছিলেন। তিনি একটানা তৃতীয় বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। প্রথম বার সপ্তম সংসদে নির্বাচিত হয়ে তিনি জাতীয় সংসদে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ছিলেন। দ্বিতীয় বার অষ্টম সংসদের নির্বাচিত হয়ে তিনি জাতীয় সংসদের পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ছিলেন এবং তথ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ছিলেন এবং নবম জাতীয় সংসদের তিনি শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ছিলেন।",
"মোস্তাফা জব্বার\nঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র থাকাকালে মোস্তাফা জব্বার একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। তিনি মুজিব বাহিনীর খালিয়াজুরি থানার সহ অধিনায়ক ছিলেন। তার বাড়ীর পাশের সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার ১৬১ জন রাজাকার যুদ্ধোত্তরকালে তার কাছে আত্মসমর্পণ করে যার মধ্যে ১০৮ জনকে মুক্তিযোদ্ধারা হত্যা করে ।",
"মোস্তাফা জব্বার\nমোস্তাফা জব্বারের পৈতৃক নিবাস নেত্রকোনা জেলার খালিয়াজুড়ি উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামে। ১৯৪৯ সালের ১২ আগষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার চর চারতলা গ্রামের নানার বাড়ীতে তাঁর জন্ম। মোস্তাফা জব্বারের বাবা আব্দুল জব্বার তালুকদার পাটের ব্যবসায়ী ও সম্পন্ন কৃষক ছিলেন। তার দাদা আলিমুদ্দিন মুন্সি ছিলেন বিশাল ভূ সম্পত্তির মালিক যার উপাধি ছিলো তালুকদার। তার মা রাবেয়া খাতুন সমগ্র জীবন গৃহিনী হিসেবেই জীবন যাপন করেছেন।",
"মৌলভী মোহাম্মদ আব্দুল জব্বার পাহলোয়ান\n১৯২১ সালে মাত্র ২৬ বছর বয়সে বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক সভার সর্বকনিষ্ঠ সদস্য নির্বাচিত হন । ১৯২৩ সালে স্বরাজ পার্টি থেকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন এবং বিজয় লাভ করেন। ১৯৩৭ সালের নির্বাচনেও তিনি ময়মনসিংহ পশ্চিম থেকে নির্বাচিত হন। ১৯৪৬ সাল পর্যন্ত তিনি একক ভাবে ময়মনসিংহ পশ্চিম অঞ্চল থেকে নির্বাচিত সদস্য ছিলেন। ১৯২৩ সালের নির্বাচনে তার নির্বাচনী ব্যয় ছিল ১২০৩ টাকা অপরদিকে তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী নওয়াব বাহাদুর সৈয়দ নওয়াব আলী চৌধুরী নির্বাচনী ব্যয় ছিল ৩৬০৮ টাকা । বিশাল ব্যায়ের পার্থক্য থাকা সত্ত্বেও আব্দুল জব্বার পাহলোয়ান ওই নির্বাচনে জয় লাভ করেছিল। নওয়াব বাহাদুর সৈয়দ নওয়াব আলী চৌধুরীর সম্মান রক্ষা করার জন্য নওয়াব সাহেব কে সন্মানিত সদেস্য পদ দান করে এবং তিনি শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করেন। আব্দুল জব্বার পাহলোয়ান বহুবার বঙ্গীয় ব্যাবস্থাপক সভায় ভাষন প্রদান করেন। তিনি ম্যালেরিয়া রোগ প্রতিষধক কুইনাইনের দাম কমানোর জন্য তার যুক্তি তর্ক উপস্থাপন করেন। ১৯২১ সালের ২১ শে নভেম্বর কলকাতায় হরতাল চলাকালে জনগণের উপর পুলিশের নির্বিচারে গুলি বর্ষনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। তিনি জমিদারদের আয়ের উপর কর আরোপের জন্য একটি বিল উত্থাপন করে ছিলেন",
"মোস্তাফা জব্বার\nছাত্র থাকাকালেই মোস্তাফা জব্বারের কর্মজীবন শুরু হয় ১৯৭২ সালের ১৬ জানুয়ারি সাংবাদিকতার মধ্য দিয়ে। সেই সময়ে তিনি সাপ্তাহিক গণকণ্ঠ পত্রিকায় রিপোর্টার হিসেবে কাজে যোগ দেন। ২১ ফেব্রুয়ারি ১৯৭২ পত্রিকাটি দৈনিকে পরিণত হয়। ১৯৭৫ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত গণকণ্ঠ পত্রিকাটি নিয়মিত প্রকাশিত হতো এবং সেই সময়ে প্রকাশিত পত্রিকাটির শেষ সংখ্যা পর্যন্ত তিনি তাতে কর্মরত ছিলেন। ১৯৭৩ সালে তিনি ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক নির্বাচিত হন।\nগণকণ্ঠ বন্ধ হয়ে যাবার পর তিনি ট্রাভেল এজেন্সি, মুদ্রণালয়, সংবাদপত্র ইত্যাদি ব্যবসায় যুক্ত হন। তিনি ট্রাভেল এজেন্টদের সংগঠন আটাব (এসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশ)- এর সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি ১৯৮৭ সালের ২৮শে এপ্রিল ব্যবসায় প্রবেশ করেন। সেই বছরের ১৬ মে তিনি কম্পিউটারে কম্পোজ করা বাংলা সাপ্তাহিক পত্রিকা আনন্দপত্র প্রকাশ করেন। ১৯৮৮ সালের ১৬ ডিসেম্বর তিনি প্রকাশ করেন বিজয় বাংলা কীবোর্ড ও সফটওয়্যার। সেটি প্রথমে মেকিন্টোস কম্পিউটারের জন্য প্রণয়ন করেন। পরে ১৯৯৩ সালের ২৬ মার্চ তিনি উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের জন্যও বিজয় বাংলা কীবোর্ড ও সফটওয়্যার প্রকাশ করেন। তিনি আনন্দ প্রিন্টার্স এবং আনন্দ মুদ্রায়ণের প্রতিষ্ঠাতা। \nতিনি ইতিপূর্বে বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির নির্বাহী পরিষদের সদস্য, কোষাধ্যক্ষ ও সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া তিনি বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার এন্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস ( বেসিস ) এর প্রতিষ্ঠাতা সহ-সভাপতি ও পরিচালক এবং বাংলাদেশ কম্পিউটার ক্লাবের সভাপতি ছিলেন। ২০০৮-০৯ সময়কালে তিনি দ্বিতীয় বারের মতো বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ২০১০-১১ সালে তিনি তৃতীয় বারের মতো বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০১২-মে-১৩ সময়কালে তিনি এই সমিতির পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ১ জুন ২০১৩ থেকে ৩১ মার্চ ২০১৪ পর্যন্ত তিনি আবার চতুর্থবারের মতো বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে (২০১৪-১৫-১৬) তিনি বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির উপদেষ্টা। তিনি প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন ডিজিটাল বাংলাদেশ টাস্কফোর্সসহ বিভিন্ন সংস্থায় যুক্ত আছেন। তিনি ২০১৪-১৫-১৬ সময়কালে বৃহত্তর ময়মনসিংহ সাংস্কৃতিক ফোরামের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি নেত্রকোণা জেলা সমিতির উপদেষ্টা। তিনি নেত্রকোণা যুব সমিতি প্রতিষ্ঠা করেন ও সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।",
"মোস্তাফা জব্বার\nমোস্তাফা জব্বার (জন্ম: ১২ই আগস্ট, ১৯৪৯) একজন বাংলাদেশী ব্যবসায়ী, প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ও মন্ত্রী। তিনি ২০১৮ সালের ২ জানুয়ারি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দ্বায়িত্ব গ্রহণ করেন। তিনি বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) সভাপতি। তিনি বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির (বিসিএস) সাবেক সভাপতি। তার প্রতিষ্ঠানের বিজয় বাংলা কিবোর্ড ১৯৮৮ সালে প্রকশিত হয় যা ইউনিকোড ভিত্তিক অভ্র কী-বোর্ড আসার পূর্বপর্যন্ত বহুল ব্যবহৃত হয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তি ও সাধারণ বিষয়ের ওপর অনেকগুলো বইয়ের লেখক তিনি।",
"শেখ রাজ্জাক আলী\nতিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র থাকা অবস্থায় সক্রিয়ভাবে বায়ান্নোর ভাষা আন্দোলনে যোগ দিলেও রাজনৈতিক জীবনের হাতেখড়ি মওলানা ভাসানীর ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (ন্যাপ) সঙ্গে যুক্ত হয়ে; এরপর তিনি জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ)-এ যোগ দেন। এবং ১৯৭৩ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খুলনা-৬ আসনে জাসদের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে পরাজিত হন। ১৯৭৮ সালে তিনি বিচারপতি সাত্তারের নেতৃত্বে গঠিত জাগদল-এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হন এবং ১৯৭৯ সালে এই দলের নাম পরিবর্তন করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) করা হলে সে বছরের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খুলনা-৬ আসন থেকে সদস্য নির্বাচিত হন। একই দল থেকে ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালেও তিনি খুলনা-২ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৯১ সালে তিনি আইন প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান; পরে এ বছরের ৫ এপ্রিল ডেপুটি স্পিকার ও ১২ অক্টোবর স্পিকার নির্বাচিত হন। \n১৯৯২ সালে শ্রীলঙ্কার কলোম্বোতে অনুষ্ঠিত প্রথম সার্ক স্পিকার্স সম্মেলনে তিনি যোগদান করেন ও সার্ক স্পিকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নির্বাচিত হন।\n১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর তার সভাপতিত্বেই জাতীয় সংসদে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার অনুমোদন দেওয়া হয়। \nতিনি ২০০২ সালে যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের হাইকমিশনার নিযুক্ত হন। \nসরকারের ক্ষমতা হস্তান্তরের কয়েক দিন আগে ২০০৬ সালে তিনি বিএনপি থেকে পদত্যাগ করে সংস্কারকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। \nএরপর তিনি কর্নেল (অব.) অলি আহমদ গঠিত এলডিপিতে যোগ দেন ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে এবং পরবর্তীতে কার্যকরী সভাপতি নির্বাচিত হন। তবে এলডিপি ভেঙে গেলে তিনি রাজনীতি থেকে সম্পূর্ণ নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েন।",
"মোহাম্মদ ইউসুফ (রাজনীতিবিদ)\nতিনি রাঙ্গুনিয়া থেকে ১৯৯১ সালে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীক নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। পরে তিনি সিপিবি ছেড়ে আওয়ামী লীগে যোগ দেন। তিনি ১৯৬৯-৭০ সালে রাঙ্গুনিয়া থানা ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি থাকাকালে রাঙ্গুনিয়া কলেজ ছাত্র সংসদের সহসভাপতি (ভিপি) ছিলেন। স্বাধীনতার পর শ্রমিক রাজনীতিতে যুক্ত হওয়ার পর ১৯৭৪-৭৫ সালে দাউদ-ফোরাত জুটমিলে সিবিএ সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) রাঙ্গুনিয়া থানার সাবেক সভাপতি মো. ইউসুফ জেলা কমিটির সদস্য এবং উত্তর জেলা কমিটির সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্যও ছিলেন। জনাব মোঃ ইউসুফ বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচন এর মাধ্যমে পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচন এর নির্বাচিত সংসদ সদস্য বিএনপি প্রার্থীকে পরাজিত করে চট্টগ্রাম থেকে জাতীয় সংসদ নির্বাচন এর নির্বাচনি এলাকা চট্টগ্রাম-৭ থেকে নির্বাচিত হন।"
] | 23 |
হুমায়ূন আহমেদ বাংলাদেশের কোন কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেন ? | [
"হুমায়ুন আজাদ\n১৯৫২ সালে হুমায়ুন 'রাড়িখাল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে' প্রথম শ্রেণীতে ভর্তি হন, ওখানে তৃতীয় শ্রেণী পর্যন্ত পড়েন, এরপর ১৯৫৫ সালে তৃতীয় শ্রেণী বাদ দিয়ে তিনি সরাসরি চতুর্থ শ্রেণীতে ভর্তি হন রাড়িখালের 'স্যার জে সি বোস ইন্সটিটিউশন'-এ, যেটাতে তৃতীয় শ্রেণী থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত ছিলো। ছেলেবেলা থেকেই তিনি ছিলেন অত্যন্ত মেধাবী। এ বিদ্যালয় থেকে তৎকালীন 'ইস্ট পাকিস্তান সেকেন্ডারি এডুকেশন বোর্ড' এর অধীনে ১৯৬২ সালে ম্যাট্রিকুলেশন (ম্যাট্রিক বা মাধ্যমিক) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। এরপর তিনি ১৯৬৪ সালে ঢাকা কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট (উচ্চ মাধ্যমিক) পাশ করেন। ১৯৬৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা সাহিত্যে স্নাতক ডিগ্রি এবং ১৯৬৮ সালে একই বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। উভয় পরীক্ষায় তিনি প্রথম শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হন। ২০১৬ সালে তার বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের এক বন্ধু স্মৃতিচারণ করতে যেয়ে বলেন যে, তার এই বন্ধুটি লেখাপড়ায় খুবই মনোযোগী ছিলো এবং সে বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারে বই পড়ে অনেক সময় ব্যয় করতো।",
"হুমায়ূন আহমেদ\nতাঁর বাবা চাকুরী সূত্রে দেশের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করেছেন বিধায় হুমায়ূন আহমেদ দেশের বিভিন্ন স্কুলে লেখাপড়া করার সুযোগ পেয়েছেন। তিনি বগুড়া জিলা স্কুল থেকে ম্যাট্রিক পরীক্ষা দেন এবং রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন। তিনি পরে ঢাকা কলেজে ভর্তি হন এবং সেখান থেকেই বিজ্ঞান বিভাগে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রসায়ন শাস্ত্রে অধ্যয়ন করেন এবং প্রথম শ্রেণীতে বিএসসি (সম্মান) ও এমএসসি ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের আবাসিক ছাত্র ছিলেন এবং ৫৬৪ নং কক্ষে তার ছাত্রজীবন অতিবাহিত করেন (\"নন্দিত নরকে\" উপন্যাসটি মুহসীন হলেই লেখা)।",
"এস এম আহমেদ হুমায়ুন\nহুমায়ুনের জন্ম ১৯৩৬ সালের ১৮ মে তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বরাহনগরে। তার শৈশব কাটে পূর্ব বাংলার ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলার নবীনগর উপজেলার শাহবাজপুর গ্রামে। ১৯৫৩ সালে তিনি মাধ্যমিক পাস করেন মোহিনী কিশোর হাই স্কুল থেকে। পরে তিনি ঢাকা চলে আসেন এবং ঢাকা কলেজ থেকে ১৯৫৬ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন এবং ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে। ১৯৫৮ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তৎকালীন ছাত্র ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের পদ লাভ করেন। ১৯৬০ সালে তিনি পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ে বিএসসি এবং ১৯৬১ সালে এমএসসি ডিগ্রি লাভ করেন।"
] | [
"আবুল মনসুর আহমেদ\nতিনি ১৯১৭ সালে ম্যাট্রিক পরীক্ষা পাশ করেন এবং ১৯১৯ সালে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেন। তিনি কলকাতার রিপন কলেজ থেকে আইন বিষয়ে পাশ করেন। এই সময়টা ছিল খিলাফত আন্দোলন ও অসহযোগ আন্দোলনের। তিনি ৯ বছর ময়মনসিংহে আইন বিভাগে পাশ করেন। তারপর কলকাতায় পেশাদার সাংবাদিক হিসাবে কাজ করেন। তিনি বিশিষ্ট আইনজীবীও ছিলেন। গোঁড়া মোহাম্মদী পরিবারের সন্তান ছিলেন আবুল মনসুর আহমদ। লাল তুর্কী টুপি মাথায় মোহাম্মদীর পক্ষে তর্কেও যেতেন। ঘটনাক্রমে একদিন তিনি ময়মনসিংহ জিলা স্কুলের হেড মৌলভী আলী নেওয়াজ ও শিক্ষক মৌলভী শেখ আবদুল মজিদের সংস্পর্শে আসেন। এঁদের সাহচর্যে আবুল মনসুর প্রথম উদারতার পাঠ গ্রহণ করেন। তার এই উদারতার বহিঃপ্রকাশ ঘটে অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের প্রতি। ১৯১৮-১৯ সাল থেকে তিনি কবর পূজা এবং পীর পূজাসহ হিন্দু-মুসলিম সমাজের সকল কুসংস্কারের সরাসরি বিরোধিতা শুরু করেন (আত্মকথা, পৃ ১৮০-৮১)।",
"আবুল কাসেম ফজলুল হক\nআবুল কাসেম ফজলুল হক ১৯৫৯ খ্রিস্টাব্দে ময়মনসিংহ জিলা স্কুল থেকে প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। ১৯৬১ খ্রিস্টাব্দে আনন্দমোহন কলেজ থেকে বিজ্ঞানে উচ্চমাধ্যমিক পাস করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৬৫ সালে তিনি স্নাতক (সম্মান) এবং ১৯৬৬ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পাশ করেন। শিক্ষাজীবনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র থাকাকালীন তিনি মুনির চৌধুরী, আহমদ শরীফ, হুমায়ুন আজাদ, নীলিমা ইব্রাহিমের সংস্পর্শে আসেন এবং প্রগতিশীল ভাবধারায় নিজেকে যুক্ত করেন।",
"হুমায়ূন আহমেদ\nঢাকা কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করার পর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রসায়ন এবং নর্থ ডাকোটা স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ে পলিমার রসায়ন শাস্ত্র অধ্যয়ন করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক হিসাবে দীর্ঘকাল কর্মরত ছিলেন। পরবর্তীতে লেখালেখি এবং চলচ্চিত্র নির্মাণের স্বার্থে অধ্যাপনা ছেড়ে দেন।",
"মহাদেব সাহা\nমহাদেব সাহা বগুড়ার ধুনট হাইস্কুল থেকে ১৯৬০ সালে ম্যাট্রিকুলেশন পাস করেন। উচ্চমাধ্যমিকে তিনি ঢাকা কলেজে ভর্তি হয়েও অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং পরে তিনি বগুড়ার আজিজুল হক কলেজ থেকে ১৯৬৪ সালে উচ্চমাধ্যমিক পাস করেন। তিনি আজিজুল হক কলেজে বাংলা সাহিত্য বিষয়ে অনার্স শ্রেণীতে ভর্তি হন এবং ১৯৬৭ সালে অনার্স পাস করে রাজশাহীতে আসেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বাংলা বিষয়ে এমএ ডিগ্রি অর্জন করেন। এমএ পাসের পর তিনি কিছুদিন ইংরেজি বিষয়ে গবেষণায় নিযুক্ত হন কিন্তু কবিতা লেখার অদম্য আগ্রহ তাঁকে গবেষণা শেষ করার আগেই ঢাকায় নিয়ে যায়। তিনি জ্যোতিপ্রকাশ দত্তের সহায়তায় ১৯৬৯ সালে তৎকালীন সাপ্তাহিক পূর্বদেশ পত্রিকায় যোগদান করেন।",
"মোশতাক আহমেদ\nমোশতাক আহমেদ ১৯৭৫ সালের ৩০শে ডিসেম্বর ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা উপজেলার তুজারপুর ইউনিয়নের সড়ইবাড়ী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার প্রাথমিক শিক্ষা শুরু হয় নিজ গ্রামের প্রাথমিক সরকারী বিদ্যালয়ে। তিনি ১৯৯০ সালে খুলনা জিলা স্কুল হতে মাধ্যমিক পাস করেন। ১৯৯২ সালে তিনি খুলনা বি এল কলেজ থেকে যশোর শিক্ষা বোর্ডে সম্মিলিত মেধা তালিকায় ১৩তম স্থান অধিকার করে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন। পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগ থেকে প্রথম শ্রেণীসহ স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অফ বিজনেস এডমিনেস্ট্রেশন (আইবিএ) থেকে এমবিএ ডিগ্রি অর্জন করেন। ২০০৫-০৬ সালে তিনি ব্রিটিশ সিভনিং স্কলার হিসাবে ইংল্যান্ডের লেস্টার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অপরাধ বিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।",
"এস এম আহমেদ হুমায়ুন\nএমএসসি পাস করে হুমায়ুন অধুনালুপ্ত আদমজী পাটকলে মান নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা হিসেবে যোগ দেন। সেখানে এক বছর কর্মরত থাকার পর তিনি তৎকালীন ইংরেজি সাপ্তাহিক ঢাকা টাইমস পত্রিকায় সহকারী সম্পাদক হিসেবে যোগদান করেন। পাশাপাশি তিনি তৎকালীন জগন্নাথ কলেজে (বর্তমান জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়) অধ্যাপনা করেন। হুমায়ুন ১৯৬৫ সালে দৈনিক পাকিস্তানে সহকারী সম্পাদক হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৭০ দশকের শেষের দিকে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আমন্ত্রিত শিক্ষক হিসেবে অধ্যাপনা করেন। ১৯৮৫ সাল থেকে দৈনিক বাংলার সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং ১৯৯৬ সালে এই পদ থেকে অবসরে যান।",
"আবদুল হামিদ (শিক্ষাবিদ)\nসল্লাবাদ বোর্ড প্রাইমারী স্কুলে অধ্যয়ন শেষে আদিয়াবাদ ইসলামিয়া হাই স্কুলে পড়াশোনা শেষ করেন। এন্ট্রান্স পাশ শেষে ১৯৩২ সালে ঢাকা কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পাশ করেন অত্যন্ত কৃতিত্বের সাথে। ১৯৩৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণিত ও পদার্থবিজ্ঞানের সমন্বিত বিষয়ে প্রথম শ্রেণীতে সম্মান ডিগ্রী লাভ করেন। ১৯৩৬ সালে গণিতশাস্ত্র বিষয়ে প্রথম শ্রেণীতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করেন। উভয়ক্ষেত্রেই তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতে বাঙালী মুসলমানদের মধ্যে প্রথম শিক্ষার্থী হিসেবে প্রথম শ্রেণী লাভ করেছিলেন আবদুল হামিদ। এরফলে স্বর্ণপদক প্রাপ্ত হন তিনি। এছাড়াও, ঢাকার নবাব পরিবারের পক্ষ থেকে ঘোড়ার গাড়িতে করে বাদ্যযন্ত্রাদি সহযোগে তাঁকে ফুলেল সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছিল।"
] | 7 |
২০১৫ সালের নেপালের ভূমিকম্পের তীব্রতা রিখটার স্কেলে কত ছিল ? | [
"২০১৫-এর নেপাল ভূমিকম্প\n২০১৫-এর নেপাল ভূমিকম্প (এছাড়াও হিমালয়ান ভূমিকম্প হিসাবে উল্লেখিত) ৭.৮ বা ৮.১ মাত্রার একটি ভূমিকম্প যা শনিবার ২৫শে এপ্রিল, ২০১৫ সালে ১১:৫৬ এনএসটি (৬:১২:২৬ ইউটিসি) সময়ে নেপালের লামজংয়ের পূর্ব-দক্ষিণ-পূর্ব কেন্দ্রস্থল থেকে আনুমানিক ব্যাপী এলাকায় ভূপৃষ্ঠের প্রায় গভীরে সংগঠিত হয়।",
"২০১৫-এর নেপাল ভূমিকম্প\n২৫শে এপ্রিল, ২০১৫ সালে ১১:৫৭ এনএসটি (৬:১২:২৬ ইউটিসি) সময়ে নেপালের লামজংয়ের পূর্ব-দক্ষিণ-পূর্ব কেন্দ্রস্থল থেকে আনুমানিক ব্যাপী এলাকায় ভূপৃষ্ঠের প্রায় গভীরে সংগঠিত হয় এবং প্রায় কুড়ি সেকেন্ড ধরে চলে। ইউনাইটেড স্টেটস জিওলজিক্যাল সার্ভে প্রথমে ভূমিকম্পের তীব্রতা ৭.৫ মাত্রার মাপলেও শীঘ্রই তা পরিবর্তন করে ৭.৯ মাত্রা ও পরে ৭.৮ মাত্রার ভূমিকম্প বলে উল্লেখ করে, যদিও চায়না আর্থকোয়েক নেটওয়ার্কস সেন্টার ভূমিকম্পের তীব্রতা ৮.১ মাত্রা পরিমাপ করে। ভারতীয় ভূতত্ত্ব বিভাগের মতে, ৬:১১ ইউটিসি সময়ে কাঠমাণ্ডু থেকে উত্তর-পশ্চিমে ৭.৯ মাত্রার একটি তীব্র ভূমিকম্প ও পরে ৬:৪৫ ইউটিসি সময়ে ভরতপুর থেকে দূরে ও কাঠমাণ্ডু থেকে উত্তর-পশ্চিমে ভূপৃষ্ঠ থেকে নীচে ৬.৬ মাত্রার অপর একটি ভূমিকম্প ঘটে। প্রথম ভূমিকম্পের পরে ৪.৫ মাত্রা ও তার অধিক মাত্রার ১০০ এর বেশি কম্পন ঘটে, যার মধ্যে ৬.৬ মাত্রার একটি কম্পন প্রথম ভূমিকম্পের কয়েক মিনিট পরে ঘটে।"
] | [
"বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব\n১৯১৮ খ্রিস্টাব্দে বাংলাদেশের শ্রীমঙ্গলে ৭.৬ মাত্রার ভূমিকম্প হয় এবং ২০০৭ খ্রিস্টাব্দের নভেম্বর মাসে হয় ৬.০ মাত্রার ভূমিকম্প। এমনকি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (BUET) মানমন্দিরে জানুয়ারি ২০০৬ থেকে মে ২০০৯ পর্যন্ত ৪ বছরে, রিখটার স্কেলে ৪ মাত্রার ৮৬টি ভূ-কম্পন নথিভুক্ত করা হয়। এই সময়ের মধ্যে ৫ মাত্রার চারটি ভূ-কম্পনও ধরা পড়ে। বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের মানমন্দিরে মে ২০০৭ থেকে জুলাই ২০০৮ পর্যন্ত কমপক্ষে ৯০টি ভূ-কম্পন নথিভুক্ত করা হয়, তন্মধ্যে ৯টিরই রিখটার স্কেলে মাত্রা ছিল ৫-এর উপরে, এবং সেগুলোর ৯৫%-এরই উৎপত্তিস্থল ছিল ঢাকা শহরের ৬০০ কিলোমিটারের মধ্যে। অতীতের এসব রেকর্ড থেকে দেখা যায় ভূমিকম্পের মাত্রা না বাড়লেও ১৯৬০ খ্রিস্টাব্দের পর থেকে ভূমিকম্প সংঘটনের হার বেড়েছে, অর্থাৎ ঘন ঘন স্বল্প মাত্রার ভূমিকম্প হচ্ছে। মতবিরোধ থাকলেও অনেক ভূতাত্ত্বিক ছোট ছোট ভূমিকম্প সংঘটন বড় ধরণের ভূমিকম্পের পূর্বাভাস বলে উল্লেখ করেন। অতীতের এসব রেকর্ডকে প্রাধান্য দিয়ে গবেষকরা জানিয়েছেন যেকোনো সময় বাংলাদেশে রিখটার স্কেলে ৮ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানতে পারে।\nবুয়েটের গবেষকদের প্রস্তুতকৃত ভূ-কম্পন-এলাকাভিত্তিক মানচিত্রে দেখা যায়, বাংলাদেশের ৪৩% এলাকা ভূমিকম্পের উচ্চমাত্রার ঝুঁকিতে (জোন-১), ৪১% এলাকা মধ্যম (জোন-২) এবং ১৬% এলাকা নিম্ন ঝুঁকিতে (জোন-৩) রয়েছে। যেখানে ১৯৯৩ খ্রিস্টাব্দের ভূ-কম্পন মানচিত্রে ২৬% উচ্চ, ৩৮% মধ্যম এবং ৩৬% নিম্ন ঝুঁকিতে ছিল। নতুন মানচিত্র অনুযায়ী, মাত্রাভেদে বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকার অবস্থান নিম্নরূপ:",
"ভূমিকম্প\n১৯১৮ খ্রিস্টাব্দে বাংলাদেশের শ্রীমঙ্গলে ৭.৬ মাত্রার ভূমিকম্প হয় এবং ২০০৭ খ্রিস্টাব্দের নভেম্বর মাসে হয় ৬.০ মাত্রার ভূমিকম্প। এমনকি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (BUET) মানমন্দিরে জানুয়ারি ২০০৬ থেকে মে ২০০৯ পর্যন্ত ৪ বছরে, রিখটার স্কেলে ৪ মাত্রার ৮৬টি ভূ-কম্পন নথিভুক্ত করা হয়। এই সময়ের মধ্যে ৫ মাত্রার চারটি ভূ-কম্পনও ধরা পড়ে। বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের মানমন্দিরে মে ২০০৭ থেকে জুলাই ২০০৮ পর্যন্ত কমপক্ষে ৯০টি ভূ-কম্পন নথিভুক্ত করা হয়, তন্মধ্যে ৯টিরই রিখটার স্কেলে মাত্রা ছিলো ৫-এর উপরে, এবং সেগুলোর ৯৫%-এরই উৎপত্তিস্থল ছিলো ঢাকা শহরের ৬০০ কিলোমিটারের মধ্যে। অতীতের এসব রেকর্ড থেকে দেখা যায় ভূমিকম্পের মাত্রা না বাড়লেও ১৯৬০ খ্রিস্টাব্দের পর থেকে ভূমিকম্প সংঘটনের হার বেড়েছে, অর্থাৎ ঘন ঘন স্বল্প মাত্রার ভূমিকম্প হচ্ছে। মতবিরোধ থাকলেও অনেক ভূতাত্ত্বিক ছোট ছোট ভূমিকম্প সংঘটন বড় ধরনের ভূমিকম্পের পূর্বাভাস বলে উল্লেখ করেন। অতীতের এসব রেকর্ডকে প্রাধান্য দিয়ে গবেষকরা জানিয়েছেন যে কোনও সময় বাংলাদেশে রিখটার স্কেলে ৮ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানতে পারে।\nবুয়েটের গবেষকদের প্রস্তুতকৃত ভূ-কম্পন-এলাকাভিত্তিক মানচিত্রে দেখা যায়, বাংলাদেশের ৪৩% এলাকা ভূমিকম্পের উচ্চমাত্রার ঝুঁকিতে (জোন-১), ৪১% এলাকা মধ্যম (জোন-২) এবং ১৬% এলাকা নিম্ন ঝুঁকিতে (জোন-৩) রয়েছে। যেখানে ১৯৯৩ খ্রিস্টাব্দের ভূ-কম্পন মানচিত্রে ২৬% উচ্চ, ৩৮% মধ্যম এবং ৩৬% নিম্ন ঝুঁকিতে ছিলো। নতুন মানচিত্র অনুযায়ী, মাত্রাভেদে বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকার অবস্থান নিম্নরূপ:",
"১৯৭০ টংহাই ভূমিকম্প\nরিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির মাত্রা পরিমাপ করা হয় ৭.৭ । এটি ১৫,৬২১ জন মানুষের প্রাণহানি ঘটায় যা একে বিংশ শতাব্দীতে চীনের তৃতীয় বৃহৎ প্রাণঘাতী দুর্যোগে পরিণত করে, এছাড়াও এতে আরো ২৬,৭৮৩ জন আহত হয়। কম্পনের ফলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ছিল ৫ থেকে ২৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। তাৎক্ষণিক ফলাফল হিসেবে রয়টার্স সংবাদ প্রতিবেদন এবং রয়্যাল হংকং অবসার্ভেটরি রেকর্ডকৃত “তীব্র” কম্পন উল্লেখ করে এবং এটি কুনমিং এর একটি অংশ ধ্বংস করে দেয় বলে অসমর্থিত প্রতিবেদনে উল্লেখ করে। এটি টংহাই ফল্টে ৫০ কিলোমিটার (৩১ মাইল) দৃশ্যমান পৃষ্ঠ চ্যুতির সৃষ্টি করে। সেখানে সর্বোচ্চ অনুভূমিক অফসেট ছিল ২.৫ মিটার (৮ ফুট) এবং উলম্ব অফসেট ছিল প্রায় ০.৫ মিটার (১.৫ ফুট) । বিপর্যয় কৌশলের ফলে বিজ্ঞানীরা সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম হয়েছিল যে বিভিন্ন ঘটনাগুলো পৃষ্ঠ চ্যুতি গঠন করে। যেটা এই ভূমিকম্প, এবং এর সাথে পরবর্তীতে ১৯৭৩ সালে ইউনানের ভূমিকম্প, সেখানকার অঞ্চলের ফল্টের সাথে অধিকতর সঙ্গতিপূর্ণ।",
"১৯৭০ টংহাই ভূমিকম্প\n১৯৭০ সালের ৪ই জানুয়ারি চীনের ইউনান প্রদেশের টংহাই কাউন্টিতে ১৯৭০-এর টংহাই ভূমিকম্প সংঘঠিত হয়েছিল। এটির উৎপত্তি হয়েছিল রেড রিভার ফল্টে যা কিনা ১৭০০ সালের পর থেকে কখনও রিখটার স্কেলে ৭ মাত্রার ভূমিকম্পের সম্মুখীন হয়নি। ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৭.৭ এবং এর ফলে প্রায় ১৫০০০ মানুষের প্রাণহানি ঘটে যা একে তৎকালীন দশকের সবচেয়ে বড় প্রাণঘাতী দুর্যোগে পরিণত করে। কম্পনের ফলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ছিল ৫ থেকে ২৫ মিলিয়ন ডলারের মধ্যে যা ৮,৭৮১ বর্গকিলোমিটার ( ৩,৩৯০ বর্গমাইল) এলাকা জুড়ে অনুভূত হয়। উত্তর ভিয়েতনামের হ্যানয়ে, উপকেন্দ্র থেকে প্রায় ৪৮৩ কিলোমিটার (৩০০ মাইল) দূরে, শহরজুড়ে ভাঙন ছড়িয়ে পড়ায় ক্ষতিগ্রস্থরা তাদের বাড়ি-ঘর ছেড়ে চলে যায়।",
"১৯৭০ টংহাই ভূমিকম্প\n১৯৭০ সালের টংহাই ঘটনার মত দক্ষিণ-পূর্ব ইউনানের ভূমিকম্পগুলো প্রদেশের অন্যান্য অংশের চেয়ে কম ঘন হয়। রেড রিভার ফল্ট লাইনের উপর সংঘটিত হওয়া ভূমিকম্পটিতে সামগ্রিকভাবে সিসমোলোজিকাল প্রক্রিয়ার অভাব রয়েছে। ১৯৬২ সালের ভূতত্ত্ব মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেতন অনুযায়ী রেড রিভার ভূমিকম্প সাধারণত উচ্চ কোণে বৃদ্ধি পায়। সেখানকার পাললিক শিলা গুলো প্লাইস্টোসিন এবং হলোসিন যুগে গঠিত হওয়া বেশ কিছু বড় ভূমিকম্প নির্দেশ করে। ১৭০০ সাল থেকে ভূকম্পনটির আগ পর্যন্ত এই ফল্ট লাইনের উপর রিখটার স্কেলে ৭ মাত্রার চেয়ে বড় কোন ভূমিকম্প হয়নি, তাই এই ফল্ট লাইন কে “মৃত” বলা হত। ১৯৭০ সালের টংহাই ভূমিকম্পের পর থেকে মনে করা হয় যে জাপান মেডিয়ান টেকটোনিক লাইনের মত রেড রিভার ফল্ট লাইন টি একটি বড় সিসমিক গ্যাপ অতিক্রম করছে, যেখানে ৭০০ সালের পর থেকে উল্লেখযোগ্য কোন ভূকম্পন না হলেও হলোসিন যুগে বিশাল ভাবে ঘটতে দেখা যায়।",
"প্রাকৃতিক দুর্যোগ\nভূত্বকের নিচে টেকটনিক প্লেটের নড়াচড়ার ফলে ভূপৃষ্ঠে যে কম্পন অনুভূত হয়, তাকে ভূমিকম্প বলে। ভূমিকম্প মাপার ক্ষেত্রে সাধারণত বিশ্বব্যাপী রিখটার স্কেল ব্যবহৃত হয়, তবে সংশোধিত মার্কলি স্কেলও স্বীকৃত। রিখটার স্কেলে ১ মাত্রার ভূমিকম্প হলো সর্বনিম্ন মাত্রা, আর সর্বোচ্চ মাত্রা হলো ১০। পৃথিবীর ইতিহাসে মারাত্মক সব ভূমিকম্প নথিভুক্ত করা হয়েছে। টেকটনিক প্লেট ছাড়াও আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাতেও ভূমিকম্প সংঘটিত হতে পারে। ভূমিকম্পের ফলে ভূত্বকের উপরে থাকা স্থাপনা কম্পন সহ্য করতে না পারলে ভেঙ্গে পড়ে। সমুদ্রে ভূকম্পন হলে পানিতে আলোড়ন সৃষ্টি করে, ফলে সংঘটিত হয় সুনামি।",
"১৭৫৫ ক্যাপ এন ভূমিকম্প\nআধুনিক গবেষণা থেকে ভূমিকম্পটির তীব্রতা রিখটার স্কেলে ৬.০ থেকে ৬.৩ এর ভেতর প্রক্কলন করা হয়েছে, এবং যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা এটাকে ম্যাসাচুসেটসের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প হিসেবে লিপিবদ্ধ করেছে। এটি সহ উত্তর-পূর্ব যুক্তরাষ্ট্রে হওয়া ভূমিকম্পগুলোর কারণ সম্পর্কে বিজ্ঞানীরা পরিষ্কারভাবে জানেন না। অঞ্চলটিতে বেশকিছু পুরানো চ্যুতি (ফল্ট) আছে কিন্তু তার কোনটাই এখন সক্রিয় আছে বলে তথ্য নেই। এক সপ্তাহ আগে পর্তুগালের লিসবনে সংঘটিত তীব্রতর ভূমিকম্প দ্বারা প্রভাবিত হয়ে ক্যাপ এন এর ভূমিকম্প সংঘটিত হওয়া সম্ভব যদিও এর যথেষ্ট কোন প্রমাণ নেই যে এই দুই ভূমিকম্প পরস্পর সম্পর্কযুক্ত।",
"১৯৮০ এজোরেস দ্বীপপুঞ্জ ভূমিকম্প\nযে ভূমিকম্পটি এজোরেস দ্বীপপুঞ্জে ঘটেছিল তা রিখটার স্কেলে ৭.২ মাত্রার। এটি তিনটি পৃথক দ্বীপপুঞ্জ উপর যথেষ্ট ক্ষতি সাধিত করেছিল (তের্সেইরা, সাও জর্জ ও গ্রাচীয়সা) বিভিন্ন ভবন ধ্বংস করেরেছিল। স্থানীয় প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঐতিহাসিক দ্বীপ রাজধানী আংরা ডো হিরোইযমো র এক-চতুর্থাংশ সহ তের্সেইরার প্রায় ৭০% এর উপর ঘরসম্পূর্ণ ধ্বংস করেছিল, সর্বসাধারণের ভবনসমূহ যেমন গীর্জা, বিভিন্ন ভবনে গর্ত সৃষ্টি করেছিল। অনেক স্থানের বিদ্যুৎ ও পানি সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছিল।",
"১৮৬৭ ম্যানহাটান, ক্যান্সাস ভূমিকম্প\n২০ঃ২২ ইউটিসি বা স্থানীয় সময় ২ঃ২০ মিনিটে ঘটা এই ভূমিকম্পের মাত্রা \"মার্কালি তীব্রতা স্কেলে\" ৭। এই ভৌগোলিক এলাকায় সামান্যই ক্ষতি করে। আহতের সংখ্যা মোটামুটি। ভূমিকম্পে দেয়াল ফাটল ধরে, চিমনি ভেঙ্গে পরে স্থাপনার স্থায়িত্ব ক্ষতিগ্রস্ত হয় এমনকি কিছু পাঁথরও খুলে পড়ে। লুইসভিলে এবং লিভেনওর্থে চিমনি ভেঙ্গে পরে, পাওলাতে বড় পোস্ট অফিস ভবনের দেয়াল ভেঙ্গে পড়ে। ক্যান্সাস নদীতে প্রায় উচ্চতার ঢেউ দেখা দেয়। আইওয়া এবং মিসৌরি থেকে বিচ্ছিন্ন রিপোর্ট থেকে জানা যায়, ডাবাক এবং চিলিকটেতে প্লাস্টার খুলে পড়ে এবং দেয়ালে ফাটল দেখা দেয়।"
] | 47 |
বাংলাদেশের অষ্টম রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান কবে জন্মগ্রহণ করেন ? | [
"জিয়াউর রহমান (চাঁপাইনবাবগঞ্জের রাজনীতিবিদ)\nমু. জিয়াউর রহমান ৭ ডিসেম্বর, ১৯৫২ সালে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার গোমস্তাপুর উপজেলাস্থ রহনপুর পৌরসভার শেখপাড়া এলাকার এক মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহন। তাঁর পিতার নাম রিয়াজউদ্দিন অাহমদ এবং মাতা নুরজাহান বেগম। তাঁর স্ত্রী কাশমেরী রহমান একজন গৃহিণী। মোঃ জিয়াউর রহমান এর মোট ৩ সন্তান, তাঁদের নাম সানজিদা রহমান (জেমি); ফাহমিদা রহমান(জুলি); রাজীব অাহমদ জয়।",
"জিয়াউর রহমান\nজিয়াউর রহমান ১৯৩৬ সালের ১৯শে জানুয়ারি বাংলাদেশের বগুড়া জেলার বাগবাড়ী গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। জন্ম ও শৈশবে তাঁর ডাক নাম ছিলো কমল। তাঁর পিতার নাম ছিল মনসুর রহমান এবং মাতার নাম ছিল জাহানারা খাতুন ওরফে রানী। পাঁচ ভাইদের মধ্যে জিয়াউর রহমান ছিলেন দ্বিতীয়। তাঁর পিতা কলকাতা শহরে এক সরকারি দপ্তরে রসায়নবিদ হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তাঁর শৈশবের কিছুকাল বগুড়ার গ্রামে ও কিছুকাল কলকাতা শহরে অতিবাহিত হয়। ভারতবর্ষ বিভাগের পর তাঁর পিতা পশ্চিম পাকিস্তানের করাচি শহরে চলে যান। তখন জিয়া কলকাতার হেয়ার স্কুল ত্যাগ করেন এবং করাচি একাডেমী স্কুলে ভর্তি হন। ঐ স্কুল থেকে তিনি ১৯৫২ সালে কৃতিত্বের সঙ্গে মাধ্যমিক শিক্ষা সমাপ্ত করেন এবং তারপর ১৯৫৩ সালে করাচিতে ডি.জে. কলেজে ভর্তি হন। একই বছর তিনি কাবুল মিলিটারি একাডেমীতে অফিসার ক্যাডেট হিসেবে যোগদান করেন।",
"জিয়াউর রহমান (ক্রিকেটার)\nমোহাম্মদ জিয়াউর রহমান (জন্ম: ২ ডিসেম্বর, ১৯৮৬) খুলনা জেলায় জন্মগ্রহণকারী বাংলাদেশের ক্রিকেটার। বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের পক্ষ হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলছেন। ডানহাতি ব্যাটসম্যান ও ডানহাতি ফাস্ট মিডিয়াম বোলাররূপে দলে প্রতিনিধিত্ব করছেন। ডাকনাম \"জনি\" হিসেবে মাঝেমাঝে স্কোরশীটে তাকে উল্লেখ করা হয়ে থাকে। ২০০৩/০৪ মৌসুমে আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপে দলের পক্ষ হয়ে খেলেছেন। এছাড়াও, ২০০৬/০৭ মৌসুমে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড সভাপতি একাদশ ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড একাডেমী দলে অংশগ্রহণ করেছেন।"
] | [
"জিয়াউর রহমান\n১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ দিবাগত রাতে পশ্চিম পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী যখন পূর্ব পাকিস্তানের নিরস্ত্র বাঙালীদের ওপর বর্বরের মতো ঘৃণ্য হামলা চালায়। সে রাতে পশ্চিম পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর হাতে পূর্ব পাকিস্তানের জনপ্রিয় বাঙালি নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান বন্দী হন। পূর্ব পাকিস্তানের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ চলে যান আত্মগোপনে। জনগণ তখন কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়ে। এই সঙ্কটময় মুহূর্তে ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ পূর্ব পাকিস্তানের রাজধানী ঢাকায় পশ্চিম পাকিস্তানী বাহিনীর বর্বর আক্রমণের পর জিয়াউর রহমান পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সাথে সম্পর্ক ত্যাগ করে বিদ্রোহ করেন এবং ২৬শে মার্চ পরে ২৭শে মার্চ চট্টগ্রাম কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করেন।",
"একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী\nঅধ্যাপক একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী বা বি.চৌধুরী (জন্মঃ ১ নভেম্বর ১৯৩২) একজন বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ। জিয়াউর রহমানের শাসনামলে তিনি উপ-প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। ২০০১ সালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ক্ষমতায় আসার পর তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হন। এর কিছুদিন পর ২০০১ সালের নভেম্বর মাসে তিনি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তিনি একজন স্বনামধন্য চিকিৎসক। এছাড়া তিনি একজন লেখক, প্রাবন্ধিক, নাট্যকার, উপস্থাপক এবং সুবক্তা। ২০০২ সালে সৃষ্ট এক বিতর্কিত ঘটনার জের ধরে তিনি রাষ্ট্রপতির পদ থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন ও পরবর্তীকালে আরেকটি রাজনৈতিক দল বিকল্প ধারা বাংলাদেশ গঠন করেন।",
"আরাফাত রহমান\nআরাফাত রহমান (১২ আগস্ট ১৯৭০ - ২৪ জানুয়ারি ২০১৫) হলেন বাংলাদেশের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র। তিনি কোকো নামেই অধিক পরিচিত ছিলেন।",
"ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ\nঅধ্যাপক ড. ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ (জন্ম: ফেব্রুয়ারি ১, ১৯৩১ - মৃত্যু: ডিসেম্বর ১০, ২০১২) বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে তিনি সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। তিনি বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০০৬ সালের ২৯ অক্টোবর তিনি এই পদে অধিষ্ঠিত হবার জন্য শপথ গ্রহণ করেন। পরে জরুরী আইন জারি করে ২০০৭ সালের ১২ জানুয়ারি তিনি এই পদ ছেড়ে দেন। এই পদে তার স্থলাভিষিক্ত হন বিশ্ব ব্যাংকের সাবেক পরিচালক ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্ণর ড. ফখরুদ্দীন আহমদ। ২০০৯ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি জিল্লুর রহমান বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নিলে ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদের কার্যকাল সমাপ্ত হয়।",
"বাংলাদেশের ইতিহাস\nজেনারেল জিয়াউর রহমান ১৯৭৭ সালের ২১শে এপ্রিল বিচারপতি সায়েমের কাছ থেকে রাষ্ট্রপতি এবং [[প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক|সিএমএলএ]] এর পদ গ্রহণ করেন। ১৯৭৮ সালের জুন মাসে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের পরে জিয়া তার রাষ্ট্রপতিত্ব ও রাজনৈতিক উচ্চাভিলাষকে গণতান্ত্রিক রূপ প্রদানের জন্য একটি রাজনৈতিক দল, [[বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল]] (বিএনপি) গঠন করেন। দেশীয় মুসলিম ঐতিহ্যের উপর জোর দিয়ে জিয়া একটি [[বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ]] ধারণার প্রথাকে তুলে ধরেন।১৯৭৯ সালে সংসদীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে বিএনপি ভূমিধ্বসের সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে এবং আওয়ামী লীগ প্রধান বিরোধী দল হিসেবে পরিণত হয়।",
"আবদুস সাত্তার (রাষ্ট্রপতি)\nআব্দুস সাত্তার (১৯০৬ - ৫ অক্টোবর ১৯৮৫) বাংলাদেশের অষ্টম রাষ্ট্রপতি। তিনি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের একজন বিচারপতি ছিলেন। প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর তিনি প্রথমে ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এসময়ে তার বয়স ছিল ৭৬ বছর। পরে তিনি ১৯৮১ সালের ১৫ নভেম্বর তারিখে দেশব্যাপী অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ৬৬% ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার শাসনকালে সরকারের মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। ১৯৮২ সালে তিনি \nশারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালনে অপারগতা প্রকাশ করেন। ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ তার জায়গায় সামরিক আইন জারীর মাধ্যমে প্রধান সামরিক প্রশাসক হিসেবে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের হাতে চলে যায়।",
"খালেদা জিয়া\nতার স্বামী বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি লেফটেন্যান্ট জেনারেল জিয়াউর রহমান বীরউত্তম। তার এক ভাই মেজর(অবঃ) সাইদ ইস্কান্দার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল থেকে ফেনী-১ আসনের নির্বাচিত সংসদ সদস্য ছিলেন। তার দুই ছেলের মধ্যে বড় তারেক রহমান বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। তার কনিষ্ঠ ছেলে আরাফাত রহমান কোকো ২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি মালয়েশিয়ার ইউনিভার্সিটি মালায়া হাসপাতালে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান। আরাফাত রহমান একজন ব্যবসায়ী ছাড়াও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড ও সিটি ক্লাবের সাথে যুক্ত ছিলেন।",
"তারেক রহমান\nতারেক রহমান (জন্মঃ ২০ নভেম্বর ১৯৬৪ ঢাকা, বাংলাদেশ) হচ্ছেন একজন বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। তিনি সাধারনতঃ \"তারেক জিয়া\" নামে পরিচিত; যার শেষাংশটি এসেছে তার পিতা বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের নাম থেকে।"
] | 92 |
জ্যোতি বসুর আদি বাড়ি কোথায় ? | [
"জ্যোতি বসু\nডা: নিশিকান্ত বসু ও হেমলতা বসুর তৃতীয় সন্তান জ্যোতি বসুর জন্ম ১৯১৪ খ্রিস্টাব্দের ৮ জুলাই কলকাতার ৪৩/১ হ্যারিসন রোডস্থ (বর্তমান মহাত্মা গান্ধী রোড) বাসভবনে। তাঁর প্রকৃত নাম ছিল জ্যোতিরিন্দ্র বসু; ডাকনাম ছিল গনা। পিতা নিশিকান্ত ছিলেন এক প্রথিতযশা ডাক্তার এবং মা হেমলতা ছিলেন এক গৃহবধূ। ১৯১৭ খ্রিস্টাব্দে তাঁর পিতামাতা ওল্ড হিন্দুস্তান বিল্ডিং-এর (বর্তমান ফুটনানি চেম্বার) একটি ভাড়াবাড়িতে উঠে আসেন। ১৯২০ খ্রিস্টাব্দে কলকাতারই ৫৫এ হিন্দুস্তান রোডস্থ নিজস্ব বাসভবনে উঠে আসেন তাঁরা। উল্লেখ্য, বসু পরিবারের আদিনিবাস ছিল ব্রিটিশ বাংলা প্রদেশের ঢাকা জেলার (অধুনা বাংলাদেশ রাষ্ট্রের নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ উপজেলার বারদী গ্রামে।)"
] | [
"জ্যোতি বসু\n৭ ডিসেম্বর পশ্চিমবঙ্গের বন্যাত্রাণে কেন্দ্রীয় সরকারের সাহায্যের দাবিতে দিল্লির বিঠলভাই প্যাটেল হাউসে ধরনায় বসলেন বসু। ১০ ডিসেম্বর বিশ্বনাথ প্রতাপ সিংহ, এইচ. ডি. দেবেগৌড়া, রাবড়ি দেবী, প্রফুল্ল মহন্ত প্রমুখ নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে রাজ্য বামফ্রন্ট কমিটির উদ্যোগে জ্যোতি বসুর সংবর্ধনা সভার আয়োজন করা হল। ১২ ডিসেম্বর জলপাইগুড়ি শহরে অনুষ্ঠিত হল সংবর্ধনা সভা। উল্লেখ্য, এই শহর থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে দোমহনিতে রেলশ্রমিক আন্দোলনে যোগদানের মাধ্যমেই তিনি প্রথম বার প্রত্যক্ষ রাজনৈতিক সংগ্রামে নেমেছিলেন। ২০০১ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার সদস্যপদ ত্যাগ করার সঙ্গে সঙ্গে বিধানসভার সঙ্গে বসুর ৫৫ বছরের সম্পর্ক ছিন্ন হল। বিধানসভায় বসুর শেষ বার্তা ছিল ‘প্রশংসা বিষবৎ, নিন্দা অমৃতসমান’। তবে অবসর গ্রহণের পরও বিধাননগরের মুখ্যমন্ত্রী আবাস ইন্দিরা ভবনেই তাঁর আজীবন বসবাসের ব্যবস্থা করা হয়।",
"জ্যোতি বসু\nতাঁর বাবা নিশিকান্ত বসু ছিলেন ডাক্তার। দুই জ্যাঠামশাই ওকালতি করতেন। রাজনীতির সঙ্গে এ পরিবারের তেমন সংযোগ ছিল না। তবে ব্রিটিশ বিরোধী বিপ্লবীদের প্রতি শ্রদ্ধা এবং সহমর্মিতা ছিল। ১৯১৩-১৪ খ্রিস্টাব্দে বিপ্লবী মদনমোহন ভৌমিক নিশিকান্ত বসুর বারদির বাড়িতে বেশ কিছুদিন আত্মগোপন করেছিলেন। এখানে অস্ত্রও লুকিয়ে রাখতেন। পুলিশের খানা-তল্লাশীর সময় জ্যোতি বসুর মা তাঁর শাড়ীর ভাঁজে অস্ত্রটি লুকয়ে রেখেছিলেন। এই যোগসূত্র জ্যোতি বসুর মধ্যে জাগিয়ে তোলে দেশপ্রেম; একসময়ে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে সম্পৃক্ত করে ফেলে। ১৯৩০ দশকের শুরুর দিকে গান্ধিজীর অনশনের সময় একদিন তিনি স্কুলে যাওয়া বন্ধ করেছিলেন স্বত:প্রবৃত্ত হয়ে। এ সময়ই অক্টরলোনি মনুমেন্টে (শহীদ মিনার ময়দান) সুভাষ বসুর ভাষণ শুনতে গেলেন খদ্দর পরে। সেদিন পুলিশ লাঠিপেটা শুরু করলে তাঁর মনে পলায়নের পরিবর্তে মোকাবেলার অনুভূতি জেগে উঠেছিল। আত্মজীবনীতে তিনি লিখেছেন, \"সেটাই বোধহয় রাজশক্তির বিরুদ্ধে প্রথম প্রকাশ্য প্রতিবাদ।\"",
"জ্যোতি বসু\n১৯৪০-এর দশকে জলপাইগুড়ি শহর থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে দোমহনিতে রেল শ্রমিকদের সংগঠিত করার কাজ শুরু করেন জ্যোতি বসু। এখানকার কৃষক ও চা শ্রমিকদের সংগঠন তৈরি ও তেভাগা আন্দোলনেও তাঁর অবদান ছিল। দোমহনি থেকেই বেঙ্গল আসাম রেল রোড ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের নেতা বসু ১৯৪৬ সালের গোড়ার দিকে অনুষ্ঠিত বঙ্গীয় প্রাদেশিক আইনসভার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় কংগ্রেসের হুমায়ুন কবিরকে মাত্র আট ভোটে পরাজিত করে বিধায়ক নির্বাচিত হন বসু। এই নির্বাচনে কমিউনিস্ট পার্টি মোট তিনটি আসন পেয়েছিল। জ্যোতি বসুর সঙ্গে দার্জিলিং কেন্দ্র থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন অপর কমিউনিস্ট নেতা রতনলাল ব্রাহ্মণ।",
"জ্যোতি বসু\nবিভাগোত্তর ভারতে অতুলনীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের অধিকারী রাষ্ট্রনায়ক জ্যোতি বসুর জীবনের প্রকৃত অর্জন কী এ নিয়ে রাজনৈতিক সমালোচকরা প্রশ্ন তুলেছেন। কমিউনিস্ট পার্টির নেতা হিসেবে তাঁর ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। ১৯৭০-এর দশকে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাট থেকে কংগ্রেসকে তিনি কেবল উৎখাতই করেন নি, পরবর্তী তিন যুগে কংগ্রেসের প্রভাব তিনি বহুলাংশে খর্ব করতে সক্ষম হয়েছিলেন। এ কথা সত্য যে তিনি পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিকে স্থিতিশীল করত: কর্দমমুক্ত করতে সক্ষম হন। তবে আপাদমস্তক মার্ক্সবাদী জ্যোতি বসুর পক্ষে পশ্চিমবঙ্গে সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হয় নি। দীর্ঘ ২৩ বছর তিনি নাগাড়ে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে সরকার পরিচালনা করেছেন। রাষ্ট্রযন্ত্রে তাঁর নেতৃত্বের সাফল্য কী সে নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপিত হয়েছে। তাঁর শাসনামলে পশ্চিমবঙ্গের উল্লেখ করবার মতো কোন অর্জন নেই এমন ইঙ্গিতও করা হয়েছে। বলা হয়েছে তাঁর আমলে পশ্চিমবঙ্গে স্থিতাবস্থা বিরাজ কররেও তেমন কোন অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ঘটেনি।",
"জ্যোতি বসু\nজ্যোতি বসু (৮ জুলাই, ১৯১৪ - ১৭ জানুয়ারি, ২০১০) একজন ভারতীয় বাঙালি রাজনীতিবিদ। তিনি সিপিআই (এম) দলের সদস্য। ১৯৭৭ সাল থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত একটানা তেইশ বছর জ্যোতি বসু পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। তিনিই ছিলেন ভারতের দীর্ঘতম মেয়াদের মুখ্যমন্ত্রী। এছাড়াও ১৯৬৪ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত তিনি সিপিআই(এম) দলের পলিটব্যুরো সদস্য ছিলেন।",
"জ্যোতি বসু\n১৯৬০-এর দশকে জ্যোতি বসুর ওপর বেশ কয়েক বার হামলা হয়। ১৯৬০ খ্রিস্টাব্দে মে দিবসের আগের দিন বরাননগরে এক শ্রমিক সমাবেশে যাওয়ার পথে কংগ্রেসী পতাকা হাতে একদল সন্ত্রাসী তাঁর গাড়ীর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। ১৯৬২ খ্রিস্টাব্দের ৩য় সাধারণ নির্বাচনের প্রচারের কাজে কাকদ্বীপ যাওয়ার পথে শতখানেক লোক তাঁর পথ আগলে হামলা করে। ১৬ ফ্রেব্রুয়ারী অনুষ্ঠিত নির্বাচনে তিনি বরাননগর এলাকা থেকে ধীরেন্দ্রনাথ চ্যাটার্জিকে পরাজিত করে বিধানসভার সদস্য হলেন; বিধানসভায় বিরোধীয় দলীয় নেতাও হলেন তিনি। \n১৯৬২'র ২০শে জুন চীন-ভারত সীমান্ত সংঘর্ষ শুরু হলে সারা ভারতে কমিউনিস্ট পার্টির ওপর নেমে আসে নির্যাতন। কালীঘাটে কুশপুত্তিলিকার দোকানে জ্যোতি বসুর কুশপুত্তলিকা বিক্রয় হতো। তাঁকে \"চীনের দালাল\", \"দেশদ্রোহী\" ইত্যাদি নামে আখ্যায়িত করে রাস্তায় সেগুলো পোড়ানো হতো। গোয়েন্দা পুলিশ সর্বত্র অনুসরণ করতো তাকে। যুদ্ধ স্থায়ী হলো মাত্র ১৪ দিন; কিন্তু ইত্যবসরে জ্যোতি বসুকে এক কাকডাকা ভোরে গ্রেপ্তার করে টানা ১ বছর কারাবন্দী করে রাখা হলো। ১৯৬৩ খ্রিস্টাব্দের ১৯শে ডিসেম্বর তাঁকে ছেড়ে দেয়া হয়। ১৯৬৫-৬৬ এ খাদ্য আন্দোলন, বন্দীমুক্তি আন্দোলন, ট্রামভাড়াবৃদ্ধি আন্দোলনে উত্তাল এক সময়। এ সময় জ্যোতি বসুকে আবার গ্রেপ্তার করা হয়। ১৯৬৬'র ১৪ মার্চ তিনি মুক্তি পেলেন।",
"জ্যোতি বসু\n৯ই মার্চ ১৯৭১-এ অনুষ্ঠিত হলো মধ্যবর্তী নির্বাচন। কিন্তু রাজনীতি বিশৃঙ্খল হয়ে পড়েছে। সরকার গঠন হতে না-হতেই জারী করা হলো রাষ্ট্রপতির শাসন। পরবর্তী নির্বাচন ১১ মার্চ ১৯৭২। জ্যোতি বসুর ভাষায় \"বাহাত্তরের নির্বাচনটা ছিল সংসদীয় গণতন্ত্রের এক নির্লজ্জ প্রহসন। ... আমি সেদিন আমার নির্বাচনী এলাকা বরাননগরে ঢুকতেই পারিনি।\" এসময় প্রশাসন ছিল সম্পূর্ণ বৈরী। অভিযোগ আছে জালিয়াতির মাধ্যমে শিবপদ ভট্টাচার্য জিতে গেলেন। জ্যোতি বসুর নেতৃত্বে কমিউনিস্ট পার্টি বিধান সভা বর্জন করে জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলার কৌশল বেছে নিল।",
"যোগী আদিত্যনাথ\nমহন্ত যোগী আদিত্যনাথ (ইংরাজী: \"Yogi Adityanath\"; জন্ম \"অজয় সিং বিস্ত\"; ৫ জুন, ১৯৭২) হলেন একজন ভারতীয় পুরোহিত তথা একজন হিন্দুত্ববাদী (হিন্দু জাতীয়তাবাদী) রাজনীতিবিদ। ২০১৭ সালের উত্তর প্রদেশ-এর বিধানসভা নির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টি দলে সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে যোগী আদিত্যনাথ উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ২০১৭ সালের ১৯ মার্চ শপত গ্রহণ করেন। উল্লেখযোগ্য যে, উক্ত নির্বাচনে যোগী ছিলেন বিজেপি দলের একজন বিশিষ্ট প্রচারক। ১৯৯৮ সাল থেকে যোগী এখানে উত্তর প্রদেশ-এর গোরখপুর কেন্দ্র থেকে একটানা পাঁচবার লোকসভার সাংসদ হন। এছাড়া, যোগী ছিলেন \"গোরখনাথ মঠ\" নামে গোরখপুরের একটি হিন্দু মন্দিরের \"মহন্ত\" বা \"মুখ্য পুরোহিত\"। এর আগে মন্দিরের মুখ্য পুরোহিত ছিলেন যোগীর আধ্যাত্মিক \"পিতা\" \"মহন্ত অবৈদ্যনাথ\" যিনি ২০১৪ সালের সেপ্তেম্বর মাসে নশ্বর দেহ ত্যাগ করেন। যোগী আদিত্যনাথ \"হিন্দু যুবা বাহিনী\" নামে একটি যুব সংগঠনও প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।",
"জ্যোতি বসু\nইতিমধ্যে পশ্চিম বঙ্গে কংগ্রেস সম্পর্কে জনগণের মোহভঙ্গ হয়েছে। ১৯৬৭ খ্রিস্টাব্দের ৪র্থ সাধারণ নির্বাচনে কংগ্রেসের আধিপত্য খর্ব হলো। গঠিত হলো অ-কংগ্রেসী কোয়ালিশন সরকার। ১৯৬৭ খ্রিস্টাব্দের ২রা মার্চ জ্যোতি বসু দ্বিতীয় বারের মতো পশ্চিম বঙ্গের উপ-মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন। শুরু হলো ট্রেজারী বেঞ্চের জীবন; শুরু হলো বুর্জোয়া রাজনৈতিক কাঠামোর মধ্যে থেকে বামপন্থী সরকার পরিচালনার সংগ্রাম। জ্যোতি বসুর মূল পুঁজি তাঁর নেতৃত্বের ওপর সাধারণ মানুষের আস্থা। ১৯৬৯ খ্রিস্টাব্দের ৯ই ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত মধ্যবর্তী নির্বাচনে জ্যোতি বসু পুনর্বার বরাননগর থেকে নির্বাচিত হলেন, আবার বামফ্রন্ট ক্ষমতায় এলো; জ্যোতি বসু আবারো উপ মুখ্যমন্ত্রী। স্বরাষ্ট্র দায়িত্ব পেয়ে তিনি পুলিশকে \"জনগণের বন্ধু\" হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা করলেন। কংগ্রেসের ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করা এবং যুক্তফ্রন্টের ঐক্য বজায় রাখা এই দ্বিবিধ সমস্যার মধ্য দিয়ে পথ চলতে হচ্ছিল। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে নকশাল আন্দোলন। অজয় মুখার্জিকে হারিয়ে জ্যোতি বসু নির্বাচিত হলেন। মাত্র তের মাসের মাথায় ২১শে মার্চ ১৯৭০ দ্বিতীয় যুক্তফ্রন্ট সরকারের পতন হয়।"
] | 63 |
ভারতীয় লেখক আর. কে. নারায়ণ রচিত প্রথম গ্রন্থের নাম কী ? | [
"আর. কে. নারায়ণ\nনারায়ণের বাবা যখন মহারাজা’স কলেজ হাইস্কুলে বদলি হয়ে যান, তখন নারায়ণ তাঁর পরিবারের সঙ্গে মহীশূরে চলে আসেন। এই বিদ্যালের গ্রন্থাগারটি ছিল অত্যন্ত সমৃদ্ধ। তাঁর বাবারও বইয়ের একটি বিশাল সংগ্রহ ছিল। নারায়ণের বই পড়ায় বিশেষ আগ্রহ থাকায় এতে তাঁর সুবিধাই হয়। এই সময় তিনি লেখালিখিও শুরু করেন। উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়াশোনা শেষ করার পর নারায়ণ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশিকা পরীক্ষায় অণুত্তীর্ণ হন। এই সময় এক বছর তিনি বাড়িতে থেকে পড়াশোনা ও লেখালিখি করতে থাকেন। ১৯২৬ সালে প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে তিনি মহারাজা কলেজ অফ মাইসোরে যোগদান করেন। সাধারণত তিন বছরে স্নাতক পাঠক্রমের পড়াশোনা শেষ হলেও, নারায়ণের এই পাঠক্রম শেষ করতে চার বছর লেগেছিল। তাঁর এক বন্ধু তাঁকে বলেছিলেন, স্নাতকোত্তর পাঠক্রমে পড়াশোনা করলে সাহিত্যের প্রতি তাঁর আগ্রহ কমে যাবে। তাই তিনি পড়াশোনা ছেড়ে কিছু সময়ের জন্য বিদ্যালয় শিক্ষকের চাকরি গ্রহণ করেন। কিন্তু সেই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তাঁকে শারীরশিক্ষার দায়িত্বে নিয়োগ করতে চাইলে তিনি চাকরি ছেড়ে দেন। এই অভিজ্ঞতা থেকে নারায়ণ উপলব্ধি করেন যে, তাঁর একমাত্র কর্মজীবন লেখালিখির ক্ষেত্রেই হওয়া সম্ভব। তিনি বাড়িতে থেকে উপন্যাস রচনা করবেন বলে মনস্থির করেন। তাঁর প্রথম প্রকাশিত রচনাটি ছিল \"ডেভেলপমেন্ট অফ মেরিটাইম লজ অফ সেভেনটিনথ সেঞ্চুরি ইংল্যান্ড\" নামে একটি বইয়ের সমালোচনা। এরপর তিনি ইংরেজি সংবাদপত্র ও সাময়িক পত্রপত্রিকায় মাঝে মাঝে স্থানীয় বিষয় অবলম্বনে গল্প লিখতে শুরু করেন। লেখালিখি করে তিনি বিশেষ উপার্জন করতেন না (প্রথম বছরে তাঁর আয় ছিল নয় টাকা বারো আনা মাত্র)। কিন্তু তাঁর পরিবার ও বন্ধুবান্ধবেরা তাঁর এই প্রথাবহির্ভূত কর্মজীবন নির্বাচনের ব্যাপারটিকে শ্রদ্ধা ও সমর্থন করতেন। ১৯৩০ সালে নারায়ণ তাঁর প্রথম উপন্যাস \"স্বামী অ্যান্ড ফ্রেন্ডস্\" রচনা করেন। তাঁর মামা এই প্রয়াসটিকে পরিহাস করেছিলেন। প্রথম দিকে প্রকাশকরাও এটি ছাপতে চাননি। এই বইতেই নারায়ণ মালগুডি নামে একটি শহরের কল্পনা করেছিলেন। এই শহরটি ছিল দেশের সামাজিক পরিস্থিতির একটি সুন্দর উপস্থাপনা। এখানে ঔপনিবেশিক শাসনের আরোপিত সীমাবদ্ধতাগুলি উপেক্ষিত হয়েছিল এবং শহরটি গড়ে উঠেছিল ব্রিটিশ ও স্বাধীনতা-উত্তর ভারতের বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে।\n১৯৩৩ সালে কোয়েম্বাটোরে বোনের বাড়িতে ছুটি কাটাতে গিয়ে নারায়ণের সঙ্গে রাজাম নামে স্থানীয় একটি ১৫ বছরের মেয়ের আলাপ হয়। তিনি মেয়েটির প্রেমে পড়ে যান। জ্যোতিষ ও আর্থিক বাধা সত্তেও তিনি মেয়েটির বাবার থেকে অনুমতি গ্রহণে সমর্থ হন এবং মেয়েটিকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর নারায়ণ \"দ্য জাস্টিস\" নামে একটি মাদ্রাজ-ভিত্তিক সংবাদপত্রে সাংবাদিকতা শুরু করেন। এই সংবাদপত্রটির প্রধান উদ্দেশ্য ছিল অব্রাহ্মণদের অধিকার নিয়ে আন্দোলন করা। নারায়ণের মতো একজন ব্রাহ্মণ আইয়ার তাঁদের হয়ে কথা বলছেন দেখে প্রকাশকরা আশ্চর্য হয়ে যান। এই সংবাদপত্রে কাজ করার সময় নারায়ণ বিভিন্ন ধরনের মানুষ ও বিষয়ের সংস্পর্শে আসেন। এর আগে নারায়ণ অক্সফোর্ডে তাঁর এক বন্ধুর কাছে \"স্বামী অ্যান্ড ফ্রেন্ডস্\" গ্রন্থের পাণ্ডুলিপি পাঠিয়েছিলেন। এই সময় সেই বন্ধুটি সেই পাণ্ডুলিপি গ্রাহাম গ্রিনকে দেখান। গ্রিন এই বইটি তাঁর প্রকাশকের কাছে পাঠিয়ে দেন। শেষ পর্যন্ত ১৯৩৫ সালে বইটি প্রকাশিত হয়। এছাড়া ইংরেজি-ভাষী পাঠকমণ্ডলীর কাছে নিজেকে সুপরিচিত করার জন্য গ্রিন নারায়ণকে তাঁর নামটি ছোটো করার পরামর্শ দেন। \"স্বামী অ্যান্ড ফ্রেন্ডস্\" ছিল একটি আংশিক আত্মজীবনীমূলক রচনা। নিজের ছেলেবেলায় দেখা অনেক ঘটনার ভিত্তিতে নারায়ণ এই বইখানি লিখেছিলেন। সমালোচকরা বইটির প্রশংসা করলেও বইটি তেমন বিক্রি হয়নি। নারায়ণের পরবর্তী উপন্যাস \"দ্য ব্যাচেলর অফ আর্টস্\" (১৯৩৫) ছিল অংশত তাঁর কলেজ জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে নেওয়া। এই উপন্যাসে দেখা যায় এক বিদ্রোহী কিশোর কিভাবে একটি সুপ্রতিষ্ঠিত প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিতে পরিণত হচ্ছে। এই উপন্যাসটির জন্যেও গ্রিন প্রকাশক সংগ্রহ করেছিলেন। বইটি একাধিক প্রকাশক প্রকাশ করেন। নারায়ণের তৃতীয় উপন্যাস \"দ্য ডার্ক রুম\" (১৯৩৮) ছিল একটি গৃহবিবাদ সংক্রান্ত রচনা। এই উপন্যাসে পুরুষকে দমনশীল ও নারীকে বিবাহের শিকার রূপে দেখানো হয়েছে। অপর একটি প্রকাশক এই উপন্যাসটি প্রকাশ করেন। এটিও সমালোচকদের দ্বারা প্রশংসিত হয়। ১৯৩৭ সালে নারায়ণের বাবা মারা যান। সেই সময় তাঁর আর্থিক সংকট থাকায় তিনি মহীশূরের সরকারের থেকে একটি ভাতা নিতে বাধ্য হন।",
"আর. কে. নারায়ণ\n১৯৬৪ সালে নারায়ণ তাঁর প্রথম পুরাণ-ভিত্তিক গ্রন্থটি প্রকাশ করেন। এই গ্রন্থটি ছিল \"গডস, ডেমনস অ্যান্ড আদার্স\"। এই গ্রন্থে তিনি হিন্দু মহাকাব্য থেকে নানা ছোটো গল্প অনুবাদ করেন। তাঁর অন্যান্য অনেক বইয়ের মতো এই বইটির অলংকরণের কাজও করেছিলেন তাঁর ছোটো ভাই আর. কে. লক্ষ্মণ। এই গ্রন্থের গল্পগুলি একটি নির্বাচিত তালিকার আকারে দেওয়া হয়েছে। এই গল্পগুলি নির্বাচন করা হয়েছে শক্তিশালী নায়কদের দেখে, যাতে পাঠকদের এগুলি সম্পর্কে পূর্ব অভিজ্ঞতা থাকুক বা না থাকুক, এর প্রভাব তাঁদের উপর দীর্ঘস্থায়ী হয়। এই গ্রন্থটি প্রকাশের পর নারায়ণ আরও একবার বিদেশ ভ্রমণে যান। আগের একটি প্রবন্ধে তিনি লিখেছিলেন যে, আমেরিকানরা তাঁর কাছ থেকে আধ্যাত্মিক বিষয়ে জানতে চেয়েছিলেন। এই ভ্রমণের সময় সুইডিশ-আমেরিকান অভিনেত্রী গ্রেটা গার্বো তাঁর থেকে একই বিষয়ে জানতে চান। যদিও নারায়ণ বলেছিলেন যে, তিনি এই বিষয়ে কিছুই জানেন না।"
] | [
"দ্য মহাভারত (আর. কে. নারায়ণ)\nদ্য মহাভারত (ইংরেজি: The Mahabharata) হল ভারতীয় লেখক আর. কে. নারায়ণের লেখা একটি পুরাণভিত্তিক গ্রন্থ। এই গ্রন্থটি \"মহাভারত\" নামক হিন্দু মহাকাব্যের সংক্ষেপিত গদ্যানুবাদ। ১৯৭৮ সালে লন্ডনের হেইনিম্যান থেকে এটি প্রথম প্রকাশিত হয়। আর. কে. নারায়ণ হিন্দু পুরাণের উপাখ্যানগুলি পুনর্কথনের যে উদ্যোগ নিয়েছিলেন, সেই উদ্যোগের তৃতীয় গ্রন্থ এটি। উল্লেখ্য, প্রথম দুটি গ্রন্থ ছিল \"গডস্, ডেমনস্ অ্যান্ড আদার্স\" ও \"দ্য রামায়ণ\"। ১৯৯৫ সালে এই তিনটি গ্রন্থকে একত্রে \"দি ইন্ডিয়ান এপিকস রিটোল্ড\" শিরোনামে প্রকাশিত হয়।",
"আর. কে. নারায়ণ\nআর. কে. নারায়ণ (১০ অক্টোবর, ১৯০৬ – ১৩ মে, ২০০১) ছিলেন একজন ভারতীয় লেখক। কাল্পনিক দক্ষিণ ভারতীয় শহর মালগুডির পটভূমিকায় লেখা তাঁর রচনাগুলির জন্য তিনি সর্বাধিক পরিচিত। তাঁর পুরো নামটি হল রাসীপুরম কৃষ্ণস্বামী আইয়ার নারায়ণস্বামী। ইংরেজি ভাষায় ভারতীয় সাহিত্যের প্রথম যুগের তিন জন পুরোধা ব্যক্তিত্বের অন্যতম ছিলেন নারায়ণ (অন্য দুজন ছিলেন মুল্ক রাজ আনন্দ ও রাজা রাও)। তাঁরাই এই সাহিত্যকে বিশ্বে সুপরিচিত করে তুলেছিলেন।",
"আর. কে. নারায়ণ\nনারায়ণের পরবর্তী উপন্যাসটি ছিল \"দ্য ম্যান-ইটার অফ মালগুডি\"। এটি প্রকাশিত হয় ১৯৬১ সালে। এই গ্রন্থের বর্ণনার ভঙ্গিটি ছিল হাস্যরসের একটি সুনিয়ন্ত্রিত ধ্রুপদি শৈল্পিক ভঙ্গিমা। এই গ্রন্থটি প্রকাশের পরই নারায়ণ আবার পর্যটনে বেরিয়ে পড়েন এবং চলে যান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়ায়। অ্যাডিলেইড, সিডনি ও মেলবোর্ন শহরে তিন সপ্তাহ কাটিয়ে তিনি ভারতীয় সাহিত্যের উপর বক্তৃতা দেন। এই ভ্রমণে তাঁকে অর্থসাহায্য করে অস্ট্রেলিয়ান রাইটার্স’ গ্রুপের একটি ফেলোশিপ। এই সময় সাহিত্য ও আর্থিক – উভয় ক্ষেত্রেই নারায়ণ যথেষ্ট সাফল্য অর্জন করেছিলেন। মহীশূরে একটি বিরাট বাড়িতে তিনি বাস করতেন। তাঁর পড়ার ঘরে অন্তত আটটি জানলা ছিল। তাঁর মেয়ে বিয়ের পর কোয়েম্বাটোর চলে গিয়েছিলেন। মেয়ের সঙ্গে দেখা করতে তিনি একটি নতুন মার্সিডিজ-বেঞ্জ গাড়ি চালিয়ে যেতেন। এই গাড়ি সেই সময় ভারতে যথেষ্ট বিলাসবহুল ছিল। ভারত ও বহির্বিশ্বে সাফল্য অর্জনের সঙ্গে সঙ্গে নারায়ণ \"দ্য হিন্দু\" ও \"দি আটলান্টিক\" প্রভৃতি পত্রপত্রিকায় কলাম লিখতে শুরু করেন।",
"রাষ্ট্রকূট রাজবংশ\nজৈন লেখক আদিকবি পম্পাকে অন্যতম শ্রেষ্ঠ কন্নড় লেখক মনে করা হয়। তিনি চম্পু আকারে রচিত \"আদিপুরাণ\" (৯৪১) গ্রন্থের জন্য বিখ্যাত। এটি প্রথম জৈন তীর্থঙ্কর ঋষভের জীবনী। পম্পার অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ রচনা হল \"বিক্রমার্জুন বিজয়\" (৯৪১)। এটি হিন্দু মহাকাব্য মহাভারত অবলম্বনে অর্জুনকে নায়ক করে রচিত। \nএটিকে \"পম্পাভারত\"-ও বলা হয়। এই গ্রন্থে লেখকের পৃষ্ঠপোষোক ভেমুলাওয়াড়ার চালুক্য রাজার (রাষ্ট্রকূট সামন্ত) প্রশংসা করে তাঁকে গুণে অর্জুনতুল্য বলে উল্লেখ করা হয়েছে। পরবর্তীকালের লেখকদের উপর পম্পার প্রভাব এতটাই গভীর ছিল যে বহু শতাব্দী ধরে পম্পার রচনার বহু ব্যাখ্যা রচিত হয়েছে।",
"স্বামী অ্যান্ড ফ্রেন্ডস্\nস্বামী অ্যান্ড ফ্রেন্ডস্ হল ভারতীয় ঔপন্যাসিক আর. কে. নারায়ণ (১৯০৬ – ২০০১) রচিত একটি উপন্যাস ত্রয়ীর প্রথম উপন্যাস। আর. কে. নারায়ণ ইংরেজি ভাষায় সাহিত্য রচনা করতেন। এই উপন্যাসটিও ইংরেজি ভাষাতেই রচিত। \"স্বামী অ্যান্ড ফ্রেন্ডস্\" উপন্যাসটির পটভূমি ব্রিটিশ ভারতের মালগুডি নামে একটি কাল্পনিক শহর। উল্লেখ্য, এই উপন্যাস ত্রয়ীর অপর দুটি উপন্যাস হল \"দ্য ব্যাচেলর অফ আর্টস্\" ও \"দি ইংলিশ টিচার\"।",
"অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর\n‘বাল্য গ্রন্থাবলী’র প্রথম ও তৃতীয় বই অবনীন্দ্রনাথের শকুন্তলা ও ক্ষীরেরপুতুল। অবনীন্দ্রনাথের প্রথম প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছিল ‘নবযুগ’পত্রে ১৩১১ শ্রাবণে, ‘নবদুর্ব্বা’ নামে। রানী বাগেশ্বরী অধ্যাপক থাকার সময় ১৯২১-১৯২৯ সালের মধ্যে যে ঊনত্রিশটি বক্তৃতা দিয়েছিলেন সেগুলি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৪১ সালে ‘বাগেশ্বরীশিল্প প্রবন্ধাবলী’ নামে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়।বাংলা ভাষায় লিখিত ভারতীয় নন্দন তত্ত্বের একটি আকর গ্রন্থ হিসাবে যা বিবেচিত হয়। চিত্রকলায় ধারাবাহিকতায় লেখালেখির জগতেও আপন ঐতিহ্যের অনুরাগী ছিলেন অবনীন্দ্রনাথ।তিনি বেশ কিছু যাত্রাপালা ও পুথি রচনা করেন। যার মধ্যে ‘অরণ্যকান্ত পালা’কঞ্জুশের পালা,কাক ও পানির পালা,ঋষিযাত্রা,মারুতির পুথী,চাইবুড়োর পুথি ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।",
"আর. কে. নারায়ণ\nএরপর ১৯৬৭ সালে নারায়ণের পরবর্তী উপন্যাস \"দ্য ভেন্ডার অফ সুইটস্\" প্রকাশিত হয়। এটির অণুপ্রেরণা ছিল তাঁর আমেরিকা ভ্রমণের অভিজ্ঞতা। এতে তিনি ভারতীয় ও আমেরিকান মূলধারার বৈশিষ্ট্যগুলির চরম চরিত্রায়ন ঘটিয়েছেন। সেই সঙ্গে এই দুই ধারার অনেক সাংস্কৃতিক পার্থক্যের প্রতিও দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। এই গ্রন্থটিতে তাঁর হাস্যরস ও বর্ণনার নিজস্ব ভঙ্গিটি অক্ষুন্ন থাকলেও, সমালোচকদের মতে এই গ্রন্থে গভীরতা তেমন নেই। এই বছর নারায়ণ ইংল্যান্ড যান। সেখানে তিনি ইউনিভার্সিটি অফ লিডসের প্রথম সাম্মানিক ডক্টরেট লাভ করেন। এর পরের কয়েক বছর তিনি কিছু লেখেননি। তাঁর পরবর্তী বইটি ছিল \"আ হর্স অ্যান্ড টু গোটস্\" নামে একটি ছোটোগল্প সংকলন। এটি প্রকাশিত হয় ১৯৭০ সালে। ১৯৩৮ সালে তিনি তাঁর মৃত্যুপথযাত্রী মামাকে কথা দিয়েছিলেন যে কম্ব রামায়ণম গ্রন্থের ইংরেজি অনুবাদ করবেন। সেই কথা মনে রেখে তিনি ১৯৭৩ সালে \"দ্য রামায়ণ\" গ্রন্থটি প্রকাশ করেন। রচনার পাঁচ বছর পর প্রকাশিত হয়েছিল এটি। \"দ্য রামায়ণ\" প্রকাশের প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই নারায়ণ সংস্কৃত মহাকাব্য মহাভারত অনুবাদের কাজে হাত দেন। এই গ্রন্থ নিয়ে গবেষণা ও রচনার মধ্যেই তিনি আরও একটি বই প্রকাশ করেন। এটি হল \"দ্য পেন্টার অফ সাইনস্\" (১৯৭৭)। এই বইটি একটি অনু-উপন্যাসের চেয়ে কিছুটা বড়ো। এই বইতে নারায়ণ এমন সব বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন, যা তাঁর আগের বইগুলিতে পাওয়া যায় না। এই পরিবর্তন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, যৌনতা এই গ্রন্থের অন্যতম আলোচ্য বিষয়। যদিও নায়কের চরিত্রচিত্রনে তিনি তাঁর পূর্ববর্তী রচনাগুলির ধারাই বজায় রেখেছিলেন। \"দ্য মহাভারত\" প্রকাশিত হয় ১৯৭৮ সালে।\nকর্ণাটক সরকার সেই রাজ্যের পর্যটন শিল্পকে উৎসাহিত করার জন্য নারায়ণকে একটি বই লেখার দায়িত্ব দেয়। ১৯৭০-এর দশকের শেষ দিকে একটি বৃহত্তর সরকারি প্রকাশনার অংশ হিসেবে এই রচনাটি প্রকাশিত হয়। তিনি বইটিকে আরও ভালো ভাবে প্রকাশ করার প্রয়োজন অনুভব করেন এবং বইটি ১৯৮০ সালে \"দ্য এমারেল্ড রুট\" (ইন্ডিয়ান থট পাবলিকেশনস) নামে পুনঃপ্রকাশিত হয়। এই বইটিতে স্থানীয় ইতিহাস ও ঐতিহ্য সম্পর্কে তাঁর ব্যক্তিগত চিন্তাধারা প্রতিফলিত হয়। কিন্তু তাঁর গতানুগতিক চরিত্রসৃষ্টি ও কল্পনাশক্তির অনুপস্থিতির কারণে বইটিতে তাঁর বর্ণনার দক্ষতার দিকটি অপ্রকাশিত থেকে যায়। এই বছরেই তিনি আমেরিকান অ্যাকাডেমি অফ আর্ট অ্যান্ড লেটারসের সাম্মানিক সদস্যপদ এবং রয়্যাল সোসাইটি অফ লিটারেচারের এসি বেনসন মেডেল লাভ করেন। এই সময়েই প্রথম নারায়ণের রচনা চীনা ভাষায় অনূদিত হতে শুরু করে।",
"আর. কে. নারায়ণ\nনারায়ণ তাঁর পরামর্শদাতা ও বন্ধু গ্রাহাম গ্রিনের সাহায্যে আত্মপ্রকাশ করেন। গ্রিনই তাঁর প্রথম চারটি বইয়ের জন্য প্রকাশক সংগ্রহে প্রধান ভূমিকা গ্রহণ করেছিলেন। এই চারটি বইয়ের মধ্যে তিনটি আংশিক আত্মজীবনীমূলক বই \"স্বামী অ্যান্ড ফ্রেন্ডস্\", \"দ্য ব্যাচেলর অফ আর্টস্\" ও \"দি ইংলিশ টিচার\" অন্তর্ভুক্ত। এছাড়া তাঁর অপর রচনা \"দ্য ফাইনান্সিয়াল এক্সপার্ট\" ১৯৫১ সালে অন্যতম সর্বাধিক মৌলিক রচনা হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে। তাঁর অপর একটি রচনা \"দ্য গাইড\" বইটির জন্য তিনি সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কারে ভূষিত হন। এই বইটি অবলম্বনে একটি চলচ্চিত্র নির্মিত হয় ও একটি ব্রডওয়ে নাটক মঞ্চস্থ হয়।",
"নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়\nনারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় (৪ ফেব্রুয়ারি, ১৯১৮ - ৬ নভেম্বর, ১৯৭০) একজন ভারতীয় বাঙালি লেখক । জন্ম অবিভক্ত বাংলার (অধুনা বাংলাদেশের অন্তর্গত) অবিভক্ত দিনাজপুর জেলার বালিয়াডাঙ্গীতে। তিন খণ্ডে প্রকাশিত তাঁর প্রথম উপন্যাস \"উপনিবেশ\" (১৯৪২, ১৯৪৫, ১৯৪৬) পাঠকসমাজে সমাদৃত হয়। তাঁর উল্লেখযোগ্য ছোটগল্প সংকলন \"বীতংস\" (১৯৪৫), \"দুঃশাসন\" (১৯৪৫), \"ভোগবতী\" (১৯৪৭) এবং উল্লেখযোগ্য উপন্যাস \"বৈজ্ঞানিক\" (১৯৪৭), \"শিলালিপি\" (১৯৪৯), \"লালমাটি\" (১৯৫১), \"সম্রাট ও শ্রেষ্ঠী\" (১৯৫৫), \"পদসঞ্চার\" (১৯৫৪)। \"সাহিত্যে ছোটগল্প\" তাঁর একটি উল্লেখযোগ্য প্রবন্ধগ্রন্থ। ছোটদের জন্য তাঁর সৃষ্ট কাল্পনিক চরিত্র টেনিদা খুবই জনপ্রিয় । তাঁর লেখা কিছু উল্লেখযোগ্য ছোটগল্প হল - ইতিহাস, নক্রচরিত, হাড়, বীতংস, রেকর্ড, টোপ, আদাব, প্রভৃতি।"
] | 76 |
প্রথম কোন ভাষায় কুরআনের অনুবাদ হয় ? | [
"কুরআন\nইসলামের প্রথম যুগে সাহাবী সালমান আল-ফারিসী সূরা ফাতিহাকে ফারসি ভাষায় অনুবাদের মাধ্যমে সর্বপ্রথম কুরআন অনুবাদের সূচনা করেন। ইতোপূর্বে নবী মুহাম্মাদ আবিসিনিয়ার সম্রাট নাজ্জাশী বা নিগাস ও বাইজানটাইন সম্রাট হিরাক্লিয়াসের নিকট পাঠানো চিঠিতে কুরআনের আংশিক অনুবাদ প্রেরণ করেন। এরপর ৮৮৪ খৃস্টাব্দে আব্দুদুল্লাহ ইবনে ওমর ইবনে আব্দুল আজিজের সময়ে দ্বিতীয়বারের মত কুরআন অনারব ভাষায় অনুবাদের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়, যা হিন্দু রাজা মেহরুকের অনুরোধে তৎকালীন সিন্ধু বা ভারতীয় উপমহাদেশের অধিবাসীদের জন্য তৈরি করা হয়েছিল। এরপর ১০ম থেকে ১২শ শতাব্দীর মধ্যবর্তী সময়ে সামানি সম্রাট প্রথম মনসূরের শাসনামলে তার উদ্যোগে ফারসি ভাষায় তাফসীরে ইবনে কাসীর-সহ কুরআনের পূর্নাঙ্গ অনুবাদ তৈরি করা হয়। এরপর বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ভাষায় কুরআন এক বা একাধিকবার আংশিক বা পূর্নাঙ্গভাবে অনূদিত হয়েছে। বর্তমানে পৃথিবীর প্রধান ভাষাগুলোর প্রায় সবগুলোতেই কুরআনের পূর্নাঙ্গ অনুবাদ উপলব্ধ।",
"কুরআন অনুবাদ\nকুরআনের প্রথম অনুবাদ করেন সালমান দ্য পারশিয়ান, যিনি ৭ম শতকের প্রথম দিকে সূরা আল-ফাতিহাকে ফারসি ভাষায় অনুবাদ করেছিলেন। হাদিসে বর্ণিত রয়েছে, আবিসিনিয়া এর সম্রাট নেগুস এবং বাইজান্টাইন সম্রাট হেরাক্লিটাস এর কাছে মুহাম্মাদ এর কাছ থেকে চিঠি আসে যেখানে কুরআন এর আয়াত যুক্ত ছিল। যাই হোক, মুহাম্মাদ এর জীবদ্দশায় কুরআন এর কোন অংশই সেই আবিসিনিয়া ও বাইজান্টাইন এর ভাষা বা অন্য কোন ভাষায় অনুবাদ করা হয়নি।"
] | [
"গিরিশ চন্দ্র সেন\nগিরিশচন্দ্র সেন (জন্ম: ১৮৩৪ - মৃত্যু: ১৯১০)। ভাই গিরিশচন্দ্র সেন নামে তিনি অধিক পরিচিত। তাঁর প্রধান পরিচয় ইসলাম ধর্মের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কুরআন- এর প্রথম বাংলা অনুবাদক হিসেবে। তখন প্রায় ধর্মগ্রন্থ সম্পর্কে সাধারণ মানুষের ধারণা ছিল যে, মূলভাষা থেকে অনূদিত হলে গ্রন্থটির পবিত্রতা ক্ষুণ্ন হবে। পবিত্র কুরআন সম্পর্কেও এমন ধারণা ছিল। এ কারণে অনেক মুসলিম মনীষী এর বঙ্গানুবাদ করতে সাহস পাননি। গিরিশচন্দ্র সেনই অন্য ধর্মালম্বী হয়েও এই ভয়কে প্রথম জয় করেন। শুধু কুরআন শরীফের অনুবাদ নয় তিনি ইসলাম ধর্ম বিষয়ক অনেক গ্রন্থ অনুবাদ করেন। তিনি ইসলাম ধর্ম নিয়ে অনেক গবেষণাও করেন।",
"সিন্ধি ভাষা\nইসলামি সিন্ধি ঐতিহ্য অনুযায়ী, সিন্ধিতে কুরআনের প্রথম অনুবাদ সিন্ধ প্রদেশের মনসুর অঞ্চলে ৮৮৩ খ্রীষ্টাব্দে / ২৭০ হিজরীতে সম্পন্ন হয়েছিল।\nকুরআনের প্রথম বিস্তৃত সিন্ধি অনুবাদ করেন আখুন্দ আজাজ আল্লাহ মুত্তালাউই (১৭৪৭-১৮২৪ খ্রীষ্টাব্দ / ১১৬০-১২৪০ হিজরী) এবং ১৮৭০ সালে সেটি প্রথম গুজরাটে প্রকাশিত হয়।\nপ্রথম মূদ্রণ করেন মুহাম্মদ সিদ্দিক ১৮৬৭ সালে লাহোরে।",
"কুরআনের ইতিহাস\nশিয়া অনুসারিগণ মনে করে আলী ব্যক্তিগত ভাবে কুরআনের একটি অনুলিপি তৈরী করেছিলেন। যেটি সংকলিত হয়েছিল নবী মুহাম্মদের ইন্তেকালের ছয় মাস মধ্যে। আর তাদের মতে এটিই পবিত্র আল কুরআনের প্রথম ও পরিপূর্ণ সংকলন। তারা এও মনে করে নবী (স) এর আদেশে এই কুরআনের সংকলনটি সংরক্ষণ করা হয় ওহী নাযিলের পর থেকেই। কতিপয় শিয়া অবলম্বিগন মনে করে আলির পাণ্ডুলিপির সাথে আজকের কুরআনের কিছুটা পার্থক্য ছিল।\nআবার কিছু শিয়া সম্প্রদায় মনে করে আলী কুরআন একত্র করেছেন, কিন্তু তাঁর অনুলিপির বৈধতা ছিলা না। অন্য একটি শিয়া দল দাবী করে, \"তিনি পবিত্র কুরআনের সম্পূর্ণ অংশ লিপিবদ্ধ করেছেন। যেখানে আয়াত, সূরা, পারা ইত্যাদির নির্ভুল বর্ণনা ছিল। যার মধ্যে কোন কিছুই বাদ পড়ে নি। এমনকি একটি একক অক্ষর আলিফ বা লাম পর্যন্তও না। তবে কোরআনের সংকলকগন এটাকে গ্রহণ করে নাই।\" তারা বিশ্বাস করে আলী কর্তৃক লিপিবদ্ধ কুরআন ছিল সবচেয়ে উপযুক্ত, তবে উসমানীয় সাম্রাজ্যে আমরা আজ যে কুরআন দেখি সেটি নয়। তারা এটাও বিশ্বাস করে, কুরআনের সূরা পরিবর্তন করা হয়েছে, পাঠ পদ্ধতির কিছু অংশ পরিবর্তন এনেছে, \"তাবদিল\", করে \"উম্মা\" থেকে \"ইমমা\" করা হয়েছে। তাছাড়া আলি (রাঃ) খিলাফত এর অধিকার সংক্রান্ত আয়াত বাতিল করা হয়েছে। আর এ সকল পরিবর্তন করা হয়েছে ইসলামের প্রথম খলিফা আবু বকর (রাঃ)এর খেলাফত কালে।",
"কুরআন অনুবাদ\nইসলামী ধর্মতত্ত্ব অনুসারে, কুরআন এর আবির্ভাব খুব নির্দিষ্টভাবে আরবি ভাষাতেই হয়েছে, এবং তাই কুরআনীয় আরবিতেই এর পাঠ করা উচিৎ। অন্য ভাষায় এটি অনুদিত হলে তা মানুষ দ্বারা রচিত হবে, এবং এরফলে মুসলিমদের মতে মূল আরবিতে লেখা গ্রন্থে যে পবিত্রতা ও অনন্যতা থাকে সেটা অনুদিত গ্রন্থে আর থাকবে না, কেননা এই অনুবাদগুলোতে সূক্ষ্মভাবে অর্থের পরিবর্তন ঘটে, তাই কুরআন এর অনুবাদকে অনুবাদ না বলে প্রায়ই \"ব্যাখ্যা\" বা \"অর্থের অনুবাদ\" বলা হয় (এই \"অর্থ\" বলতে কুরআন এর বিভিন্ন আয়াতের বিভিন্ন অর্থের সমাহারকে বোঝানো হয় যেখানে এই আলাদা আলাদা অর্থগুলো একে অপরের থেকে ভিন্ন হতে পারে, এবং অনুবাদগুলোর ক্ষেত্রে এই স্বীকারোক্তির উল্লেখ থাকে যে, এই তথাকঠিত অনুবাদ একটি সাম্ভাব্য ব্যাখ্যা মাত্র, এবং এটিকে মূল কুরআন এর পূর্ণাঙ্গ সমতুল্য হিসেবে দাবি করা হচ্ছে না)। যেমন পিকথাল তার অনুবাদকে \"দ্য কোরান\" (কুরআন) না লিখে \"দ্য মিনিং অফ দ্য গ্লোরিয়াস কোরান\" (মহার কুরআন এর অর্থ) লিখেছিলেন।",
"গিরিশ চন্দ্র সেন\nঅনুবাদক হিসেবে মোটামুটি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর তিনি কুরআনের অনুবাদের কাজ শুরু করেন। তিনি পর্যায়ক্রমে মোট ১২ টি খন্ডে এই অনুবাদকর্ম সমাপ্ত করেন। 'তাপসমালা'র দুটো খন্ড বের হওয়ার পর ১৮৮১ সালের ১২ ডিসেম্বর কুরআনের প্রথম খন্ড প্রকাশিত হয়। প্রথম খন্ড প্রকাশের সময় গিরিশচন্দ্র অনুবাদকের নাম গোপন রাখেন। কারণ তৎকালীন সময়ে কাজটি যথেষ্ট ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। মুসলিম সমাজে এর প্রতিক্রিয়া কি হতে পারে সে সম্পর্কে তাঁর কোন ধারণাই ছিলনা। গ্রন্থটিতে শুধুমাত্র প্রকাশক গিরিশচন্দ্র সেন এবং মুদ্রক তারিণীচরণ বিশ্বাসের নাম ছিল। ৩২ পৃষ্ঠার এই খন্ডের মূল্য ছিল মাত্র চারআনা। কিন্তু গিরিশচন্দ্রের আশঙ্কা সম্পূর্ণ ভুল প্রমাণিত হলো। মুসলমান আলেমসমাজ এই মহৎকর্ম সম্পাদন করার জন্য এই অজ্ঞাতনামা অনুবাদকের প্রশংসা করে ব্রাহ্মসমাজের নিকট পত্র প্রেরণ করেন। তাঁদের প্রশংসাপূর্ণ পত্রের অংশবিশেষ নিন্মে তুলে ধরা হলোঃ",
"মৌলভী মোহাম্মদ নঈমউদ্দিন\nমৌলভী মোহাম্মদ নঈমউদ্দিন সর্বপ্রথম কোরান ও বোখারী শরীফ অনুবাদ করে বাঙালি মুসলমানদের মধ্যে পথিকৃতের ভূমিকা পালন করেন এবং বাংলায় অনূদিত কোরান শরীফের প্রথম খন্ড করটিয়া মাহমুদিয়া প্রেসে মুদ্রিত ও মীর আতাহার আলী কর্তৃক প্রকাশিত হয় (১৮৯১) এবং উপমহাদেশের মুশির্দাবাদ, এলাহাবাদ, জৈনপুর, বিহার, আগ্রা, দিল্লি প্রভৃতি স্থানের দেশবরেণ্য বিখ্যাত আলেম ও ইসলামি চিন্তাবিদদের নিকট থেকে ইলমে শরীয়ত (জাহেরী) ও ইলমে মারেফাত (বাতেনী বিদ্যা) আয়ত্ত করেন।",
"কুরআনের ইতিহাস\nমুসলমানদের বিশ্বাস ও ইসলামী গবেষকদের তথ্য মতে, কুরআর নাযিল ৬১০ খ্রীস্টাব্দে শুরু হয়, যখন ফেরেশতা জিব্রাঈল (Arabic: جبريل, \"Jibrīl\" or جبرائيل, \"Jibrāʾīl\") মক্কা নগরীর হেরা পর্বতে, সর্ব প্রথম কোরআনের সূরা আলাক্ব এর প্রথম পাঁচটি আয়াত নবী মুহাম্মাদকে পাঠ করান। আর এই ধারাবাহীকতা ৬৩২ খ্রীস্টব্দে তাঁর মৃত্যুর মাধ্যমে শেষ হয়। আমরা আজ যে কোরআন গ্রন্থাকারে দেখতে পাই, সেটি সংকল করেছেন ইসলামের তৃতীয় খলিফা উসমান রাযিআল্লাহু তা'আলা আনহু(৬৪৪ থেকে ৬৫৬)। তিনি আমিরুল মু'মিনিন বা বিশ্বাসীদের নেতা হিসাবে তাঁর খিলাফতের (ইসলামিক সরকারের) সময় হুুযায়ফা ইবনে ইয়েমেনি (রা:) এর পরামর্শে এ দায়িত্ব পালন করেন। যার জন্য তাকে আজও জামিউল কুরআন বা কুরআন সংকলনকারি বলা হয়। আর পুরো বিশ্বে তাঁর সময়ে লিপিবদ্ধ করা কুরআন প্রচলিত রয়েছে। অধ্যাপক ফ্রান্সিস এডওয়ার্ড পিটার্স এর ভাষ্যমতে, \"কুরআন সংরক্ষণের ক্ষেত্রে, পক্ষপাত এড়াতে অত্যন্ত রক্ষণশীলতা ও সর্বাধিক সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে।\"",
"জহুরুল হক (অনুবাদক)\nজহুরুল হক আল-কুরআনের অসমীয়া অনুবাদটিকে তিনটি খন্ডে প্রকাশ করেন। ১৯৯৩ সালে তিনি আল-কুরআনের ইংরেজী অনুবাদের কাজে হাত দেন। ২০০০ সালের ১লা এপ্রিল তিনি \"ট্রান্সলেশন এ্যান্ড কমেন্টারি অফ দ্য হোলি কুরান\"(পবিত্র আল কুরআনের অনুবাদ ও ধারাবর্ণনা) নামে তার সাড়ে-বারশত-এরও অধিক পৃষ্ঠা সম্বলিত আল কুরআনের ইংরেজী অনুবাদ ও বিবরণ গ্রন্থ আকারে প্রকাশ করেন। ইতিমধ্যে তার নিজের অনূদিত আল-কুরআনের অসমীয়া অনুবাদের তৃতীয় সংষ্করণ প্রকাশিত হয়েছে।"
] | 91 |
কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কত সালে "সং অফারিংস"-কাব্যগ্রন্থটি রচনা করেন ? | [
"সং অফারিংস (ইংরেজি গীতাঞ্জলি)\nসং অফারিংস (ইংরেজি ভাষা: Song Offerings) নোবেল পুরস্কার বিজয়ী বাঙ্গালী কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বিরচিত \"গীতাঞ্জলি\" (ইংরেজি ভাষা: \"Gitanjali\") কাব্যগ্রন্থের ইংরেজী অনুবাদ। এটি ইংরেজি ভাষায় অনূদিত রবীন্দ্রনাথের প্রথম সংকলনগ্রন্থ যা ১৯১২ ক্রিস্টাব্দে লন্ডনে প্রথম প্রকাশিত হয়। এর কবিতাগুলি পাশ্চাত্যে খুবই সমাদৃত হয়। অনূদিত গ্রন্থটি প্রচ্ছদে Gitanjali (Song Offerings) নামাঙ্কিত। তবে ইংরেজি গীতাঞ্জলিতে বাংলা \"গীতাঞ্জলি'র\" একচ্ছত্র আধিপত্য নেই। রবীন্দ্রনাথ মূল \"গীতাঞ্জলি'র\" ১৫৭টি গান/কবিতা থেকে ইংরেজি গীতাঞ্জলিতে (Song Offerings) মাত্র ৫১টি স্থান দিয়েছেন। বাকি ৫২টি বেছে নিয়েছেন \"গীতিমাল্য\", \"নৈবেদ্য\", \"খেয়া\", \"শিশু\", \"কল্পনা\", \"চৈতালি\", \"উৎসর্গ\", \"স্মরণ\" ও \"অচলায়তন\" থেকে। গীতিমাল্য থেকে ১৬টি, নৈবেদ্য থেকে ১৫টি, খেয়া থেকে ১১টি, শিশু থেকে ৩টি, কল্পনা থেকে ১টি, চৈতালি থেকে ১টি, উৎসর্গ থেকে ১টি, স্মরণ থেকে ১টি এবং অচলায়তন থেকে ১টি কবিতা/গান নিয়ে তিনি ইংরেজি গীতাঞ্জলির বিন্যাস করেছেন। অর্থাৎ ইংরেজি গীতাঞ্জলিতে মূল বাংলা \"গীতাঞ্জলি\" সহ মোট ৯টি গ্রন্থের কবিতা বা গানের সমাবেশ রয়েছে।",
"সং অফারিংস (ইংরেজি গীতাঞ্জলি)\n১৯১২ খ্রিস্টাব্দের শুরুর দিকে রবীন্দ্রনাথের জাহাজযোগে লণ্ডন যাওয়ার কথা ছিল। যাত্রার পূর্বে তিনি অর্শ রোগের কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং পদ্মা নদীতে নৌকায় বিশ্রাম নিতে শুরু করেন। এ সময় তিনি তাঁর গীতাঞ্জলি কাব্যগ্রন্থ থেকে সহজ ইংরেজিতে অনুবাদ শুরু করেন। পরবর্তীতে গীতাঞ্জলি ৫২টি এবং গীতিমাল্য, নৈবেদ্য, খেয়া প্রভৃতি আরো নয়টি কাব্যগন্থ থেকে ৫১টি - সর্বমোট ১০৩টি কবিতার অনুবাদ নিয়ে একটি পাণ্ডুলিপি তৈরি করেন। এই পাণ্ডুলিপি সঙ্গে করে রবীন্দ্রনাথ ২৭ মে ১৯১২ বোম্বাই বন্দর থেকে বিলেত যাত্রা করেন। যাত্রকালে আরো কিছু কবিতা অনুবাদ করে সংযোজন করেন। তিনি লন্ডনে পৌঁছান ১৬ জুন। এ সময় উইলিয়াম রোটেনস্টাইনের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় এবং পাণ্ডুলিপিটি তাকে দেয়া হয়। তিনি টাইপ করিয়ে পাণ্ডুলিপিটি কবি ইয়েটস সহ আরো কয়েকজন কাব্যবোদ্ধাকে প্রদান করেন। ১৯১২ খ্রিস্টাব্দের শেষের দিকে লণ্ডনে ইন্ডিয়া সোসাইটি কর্তৃক গ্রন্থটি প্রকাশিত হয়। \"সঙ্গ অফরিংস\"-এর ভূমিকা লিখেছিলেন স্বয়ং কবি ইয়েটস্। এ ভূমিকাটি ছিল একই সঙ্গে আন্তরিক ও যথেষ্ট প্রশস্তিতমূলক।",
"গীতাঞ্জলি\nগীতাঞ্জলি হল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা একটি কাব্যগ্রন্থ। এই বইয়ে মোট ১৫৭টি গীতিকবিতা সংকলিত হয়েছে। কবিতাগুলি ব্রাহ্ম-ভাবাপন্ন ভক্তিমূলক রচনা। এর বেশিরভাগ কবিতাতেই রবীন্দ্রনাথ নিজে সুরারোপ করেছিলেন। ১৯০৮-০৯ সালে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় এই কবিতাগুলি প্রকাশিত হয়। এরপর ১৯১০ সালে \"গীতাঞ্জলি\" কাব্যগ্রন্থটি প্রকাশিত হয়। \n১৯১২ সালে রবীন্দ্রনাথের \"সং অফারিংস\" (ইংরেজি: Song Offerings) কাব্যগ্রন্থটি প্রকাশিত হয়। এতে \"গীতাঞ্জলি\" ও সমসাময়িক আরও কয়েকটি কাব্যগ্রন্থের কবিতা রবীন্দ্রনাথ নিজে অনুবাদ করে প্রকাশ করেন। ১৯১৩ সালে ইংরেজি কাব্যগ্রন্থটির জন্য রবীন্দ্রনাথ সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন।"
] | [
"গীতাঞ্জলি\nগীতাঞ্জলি: সং অফারিংস (ইংরেজি: \"Gitanjali - Song Offerings\") ইংরেজি ভাষায় অনূদিত রবীন্দ্রনাথের প্রথম সংকলনগ্রন্থ। এর কবিতাগুলি পাশ্চাত্যে খুবই সমাদৃত হয়। কিন্তু গ্রন্থদুটির নাম অভিন্ন হলেও ইংরেজি গীতাঞ্জলিতে বাংলা \"গীতাঞ্জলি'র\" একচ্ছত্র আধিপত্য নেই। রবীন্দ্রনাথ বাংলা \"গীতাঞ্জলি'র\" ১৫৭টি গান/কবিতা থেকে ইংরেজি গীতাঞ্জলিতে (Song Offerings) মাত্র ৫৩টি স্থান দিয়েছেন। বাকি ৫০টি বেছে নিয়েছেন \"গীতিমাল্য\", \"নৈবেদ্য\", \"খেয়া\", \"শিশু\", \"কল্পনা\", \"চৈতালি\", \"উৎসর্গ\", \"স্মরণ\" ও \"অচলায়তন\" থেকে। গীতিমাল্য থেকে ১৬টি, নৈবেদ্য থেকে ১৫টি, খেয়া থেকে ১১টি, শিশু থেকে ৩টি, কল্পনা থেকে ১টি, চৈতালি থেকে ১টি, উৎসর্গ থেকে ১টি, স্মরণ থেকে ১টি এবং অচলায়তন থেকে ১টি কবিতা/গান নিয়ে তিনি ইংরেজি গীতাঞ্জলির বিন্যাস করেছেন। অর্থাৎ ইংরেজি গীতাঞ্জলিতে তিনি মোট ৯টি গ্রন্থের কবিতা বা গানের সন্নিবেশ ঘটিয়েছেন।\n১৯১২ খ্রিস্টাব্দের শুরুর দিকে রবীন্দ্রনাথের জাহাজযোগে লণ্ডন যাওয়ার কথা ছিল। যাত্রার পূর্বে তিনি অর্শ রোগের কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং পদ্মা নদীতে নৌকায় বিশ্রাম নিতে শুরু করেন। এ সময় তিনি তাঁর গীতাঞ্জলি কাব্যগ্রন্থ থেকে সহজ ইংরেজিতে অনুবাদ শুরু করেন। পরবর্তীকালে গীতাঞ্জলি ৫৩টি এবং গীতিমাল্য, নৈবেদ্য, খেয়া প্রভৃতি আরো নয়টি কাব্যগন্থ থেকে ৫০টি - সর্বমোট ১০৩টি কবিতার অনুবাদ নিয়ে একটি পাণ্ডুলিপি তৈরি করেন। এই পাণ্ডুলিপি সঙ্গে করে রবীন্দ্রনাথ \n২৭ মে ১৯১২ বোম্বাই বন্দর থেকে বিলেত যাত্রা করেন। যাত্রকালে আরো কিছু কবিতা অনুবাদ করে সংযোজন করেন। তিনি লন্ডনে পৌঁছান ১৬ জুন। এ সময় উইলিয়াম রোটেনস্টাইনের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় এবং পাণ্ডুলিপিটি তাকে দেয়া হয়। তিনি টাইপ করিয়ে পাণ্ডুলিপিটি কবি ইয়েটস সহ আরো কয়েকজন কাব্যবোদ্ধাকে প্রদান করেন। ১৯১২ খ্রিস্টাব্দের শেষের দিকে লণ্ডনে ইন্ডিয়া সোসাইটি কর্তৃক গ্রন্থটি প্রকাশিত হয়। \"সঙ্গ অফরিংস\"-এর ভূমিকা লিখেছিলেন স্বয়ং কবি ইয়েটস্। এ ভূমিকাটি ছিল একই সঙ্গে আন্তরিক ও যথেষ্ট প্রশস্তিতমূলক।",
"সং অফারিংস (ইংরেজি গীতাঞ্জলি)\nনিজ অনুবাদে রবীন্দ্রনাথ বেশ স্বাধীনতা নিয়েছিলেন। আক্ষরিক তো নয়ই বরং ভাবানুবাদেরও বেশি ; কখনো কবিতাংশ সংক্ষেপিত করা হয়েছে কখনো বা স্রেফ ভাবার্থ করা হয়েছে ; কেবল কবিতার ভাবসম্পদ অক্ষত রাখা হয়েছে। বাংলা গীতাঞ্জলি'র ১২৭ সংখ্যক কবিতাটি নিম্নরূপ:\nউক্ত কবিতাটি কবি ইংরেজিতে গদ্যছন্দে নিম্নরূপ অনুবাদ করেন। এটি \"সং অফারিংস\" তথা ইংরেজি গীতাঞ্জলিতে সপ্তম কবিতা হিসাবে গ্রন্থিত। \nতবে স্বকৃত অনুবাদ নিয়ে স্বয়ং রবীন্দ্রনাথের মনেই দ্বিধা-দ্বন্দ্ব ছিল। ইয়োরোপে যাওয়ার আগে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়ে শিলাইদহে নীত হন, তখন সময় কাটানোর ছলেই তিনি গীতাঞ্জলি’র অনুবাদে হাত দেন। কিন্তু প্রিয় কবিতাগুলোর অনুবাদ তাঁর কাছে সন্তোষজনক মনে হয়নি, মনে হয়েছিল ‘school-boy exercise'।। পুস্তকাকারে প্রকাশ কালে কবি ইয়েটস রবীন্দ্র-অনুবাদের পরিমার্জনা করেছিলেন। ইংরেজিভাষী সমালোচকরা সানন্দে তাঁর অনুবাদের উৎকর্ষ স্বীকার করেছেন। তবে উত্তর-গীতাঞ্জলি পর্বে এ উৎকর্ষতার ক্রমাবনতি হয়েছিল বলে মনে করা হয়। রবীন্দ্রনাথের জীবদ্দশায় ইংরেজ পাঠক ও সমালোচক এবং রবি-জীবনীকার এডওয়ার্ড টম্পসন মন্তব্য করেছেন, \"প্রথম দিকের অনুবাদ ছিল নিখুঁত ও মনোরম ; শেষের দিকে অযত্নে ও নৈমিত্তিকভাবে অনুবাদের কাজ সারা হয়েছে\"।",
"সং অফারিংস (ইংরেজি গীতাঞ্জলি)\n\"গীতাঞ্জলি: দ্য সং অফারিংস\" প্রকাশনার পর লন্ডনের পত্র-পত্রিকায় আলোচনা-সমালোচনা মুদ্রিত হয়। লন্ডনে রথেনস্টাইনের বাসগৃহে কবি ইয়েটস্ যেদিন বন্ধু-বান্ধবকে গীতাঞ্জলি থেকে পাঠ করে শুনিয়েছিলেন সেদিন ঐ আসরে কবি মে সিনক্লেয়ার উপস্থিত ছিলেন। রবীন্দ্রনাথের কবিতায় অভিভূত হয়ে তিনি নিঃসংকোচে লিখেছিলেন : “রবীন্দ্রনাথের কবিতায় মানুষের সাধারণ আবেগমথিত নিবেদনের মিলন হয়েছে এমন এক সঙ্গীত ও ছন্দে যা র্সুইনবার্নের চেয়েও পরিশীলীত। এমন এক সঙ্গীত ও ছন্দ যা পশ্চিমী শ্রোতার কাছে অচিন্তনীয়, যাতে আছে শেলীর অপার্থিব চেতনা, অদ্ভুত সূক্ষ্মতা ও তীব্রতা... এবং তা এমন সহজিয়া রীতিতে যাতে এই যাদুকরী-আবেশকেও মনে হয় পৃথিবীর সবচে’ স্বাভাবিক রূপবন্ধ। মিল্টনও না, সে মানুষের হৃদয়ের তুলনায় বড় বেশি জাঁকালো ; ওয়ার্ডসওয়ার্থও নয়, সে বড় সূক্ষ্ম আর অন্তর্লীন ... এমনকি দান্তেও নয় যদিও তিনি বাংলার এই মরমিয়া কবির খুব কাছাকাছি।”",
"সং অফারিংস (ইংরেজি গীতাঞ্জলি)\n\"দি নেশান\" পত্রিকায় লেখা হয়েছিল, \"ভুলে যাও ইয়েটস্-এর তদ্বির, ভুলে যাও যে ‘এটি সাহিত্য-বিশ্বের একটি শীর্ষ-ঘটনা’, এবং (তবু) গীতাঞ্জলি’তে পাবে প্রণয়াকুল হেমন্তের নিখাদ পুষ্পকোরক যাতে রয়েছে (মানুষের) সনাতন বিশ্বাসের ইঙ্গিত।\nমার্কিন কবি এজরা পউন্ড ১৯১৩ খ্রিস্টাব্দের মার্চ মাসে ফোর্টনাইটলি রিভিয়্যু পত্রিকায় প্রকাশিত একটি সুদীর্ঘ আলোচনায় লিখছিলেন, \"শ্রীযুক্ত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতাগুচ্ছের প্রকাশ আমার কাছে এক অবিস্মরণীয় ঘটনা। পাঠক হয়তো আমার কথা ঠিক ঠাওর করে উঠতে পারবেন না ; আমার মন্তব্য কবির কাব্যে প্রমাণিত। এই কবিতা অতি ধীরে শান্ত পরিবেশে ও উঁচু সুরে পাঠ করতে হবে। এই কবিতার অনুবাদক স্বয়ং সুরকার ; তাই সেই মহৎ শিল্পীর অভিব্যক্তি সূক্ষ্ম সঙ্গীতের মাধ্যমে।\"",
"সং অফারিংস (ইংরেজি গীতাঞ্জলি)\nদি টাইমস্-এর সুবিখ্যাত সাহিত্য-সাময়িকী যা টাইমস লিটারেরী সাপ্লিমেন্ট (টিএলএস) নামে খ্যাত তার ৭ নভেম্বর ১৯১২ সংখ্যায় (পৃ. ৪৯২) প্রকাশিত আলোচনাটিই প্রথম মুদ্রিত গ্রন্থালোচনা। তখনো রবীন্ত্রনাথ নোবেল পুরস্কার লাভ করেনি নি। আলোচনাটির শুরুতে বলা হয়েছে, \"যে-কোনো শিল্পের অধোগতির কারণ হলো বিষয়-বস্তুর দীনতা, আর ব্যক্তিকেন্দ্রিকতার আদি স্তর থেকে সার্বজনীনতার পর্যায়ে উত্তরণের প্রয়োজনীয় মননশক্তি যদি না থাকে তাহলে কবিতা সবসময়ই এই দীনতায় আক্রান্ত হবে। যে-সমাজে ভাববাদিতা বিপুলভাবে বর্তমান, সে-সমাজে প্রাণময় শিল্প হিসেবে বেঁচে থাকতে হ’লে কবিতাকে উৎক্রান্তি সাধন করতেই হবে। তা’ না হ’লে, শিল্পের খাতিরে, কবি-শক্তি পর্যবসিত হবে অচল মননশীলতায়, ব্যর্থ হবে নিছক বিদগ্ধ ব্যতিরেকে অন্য কারো মনে সাড়া জাগাতে। ভাবকে জয় করতে না-পারলে ভাবের কাছে পর্যদুস্ত কাব্য পরিণত হ’বে গদ্যে। অতীতে কবিতা যেমন ঘটনা-আলোড়িত আবেগের বাহন হয়েছে, তেমনি (এখন) কবিতাকে লিখতে হবে কী ক’রে ফুটিয়ে তোলা যায় ভাবোৎসারিত আবেগ ; আর তা’ করতে যেয়ে কবিতাকে সেই কবিতাই থাকতে হ’বে যার রয়েছে প্রৌঢ় সাংগীতিকতা, উপমা-অলংকার আর নিষ্কম্প্র মূল্যবোধ। আর এই সমস্যাতেই এ যুগের কবিতা আক্রান্ত্র, এর অস্তিত্ব বিপন্ন ; এবং অবাক হওয়ার কিছু নেই যে ইয়েটস সাহেব সেই ভারতীয় কবির রচনাকে সানন্দে সম্ভাষণ জানাবেন যিনি অনায়াসে ঐ সমস্যাটির সমাধান করেছেন বলে মনে হয়, যেভাবে হাজার বছর আগে চীনা চিত্রকলা রাহুমুক্ত হয়েছিল।\"",
"রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর\nরবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রথম জীবনে ছিলেন বিহারীলাল চক্রবর্তীর (১৮৩৫-১৮৯৪) অনুসারী কবি। তাঁর \"\", \"\" ও \"\" কাব্য তিনটিতে বিহারীলালের প্রভাব সুস্পষ্ট। \"সন্ধ্যাসংগীত\" কাব্যগ্রন্থ থেকে রবীন্দ্রনাথ নিজের বক্তব্য প্রকাশ করতে শুরু করেন। এই পর্বের \"সন্ধ্যাসংগীত\", \"প্রভাতসংগীত\", \"ছবি ও গান\" ও \"কড়ি ও কোমল\" কাব্যগ্রন্থের মূল বিষয়বস্তু ছিল মানব হৃদয়ের বিষণ্ণতা, আনন্দ, মর্ত্যপ্রীতি ও মানবপ্রেম। ১৮৯০ সালে প্রকাশিত \"মানসী\" এবং তার পর প্রকাশিত \"\" (১৮৯৪), \"\" (১৮৯৬), \"\" (১৮৯৬), \"\" (১৯০০) ও \"\" (১৯০০) কাব্যগ্রন্থে ফুটে উঠেছে রবীন্দ্রনাথের প্রেম ও সৌন্দর্য সম্পর্কিত রোম্যান্টিক ভাবনা। ১৯০১ সালে ব্রহ্মচর্যাশ্রম প্রতিষ্ঠার পর রবীন্দ্রনাথের কবিতায় আধ্যাত্মিক চিন্তার প্রাধান্য লক্ষিত হয়। এই চিন্তা ধরা পড়েছে \"\" (১৯০১), \"\" (১৯০৬), \"\" (১৯১০), \"\" (১৯১৪) ও \"\" (১৯১৪) কাব্যগ্রন্থে। ১৯১৫ সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সূচনা ঘটলে \"\" (১৯১৬) কাব্যে রবীন্দ্রনাথের কবিতায় আধ্যাত্মিক চিন্তার পরিবর্তে আবার মর্ত্যজীবন সম্পর্কে আগ্রহ ফুটে ওঠে। \"\" (১৯১৮) কাব্যে গল্প-কবিতার আকারে তিনি নারীজীবনের সমসাময়িক সমস্যাগুলি তুলে ধরেন। \"\" (১৯২৫) ও \"\" (১৯২৯) কাব্যগ্রন্থে রবীন্দ্রনাথ আবার প্রেমকে উপজীব্য করেন। এরপর \"\" (১৯৩২), \"\" (১৯৩৫), \"\" (১৯৩৬) ও \"\" (১৯৩৬) নামে চারটি গদ্যকাব্য প্রকাশিত হয়। জীবনের শেষ দশকে কবিতার আঙ্গিক ও বিষয়বস্তু নিয়ে কয়েকটি নতুন পরীক্ষানিরীক্ষা চালিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ। এই সময়কার \"\" (১৯৪০), \"\" (১৯৪১), \"\" (১৯৪১) ও \"\" (১৯৪১, মরণোত্তর প্রকাশিত) কাব্যে মৃত্যু ও মর্ত্যপ্রীতিকে একটি নতুন আঙ্গিকে পরিস্ফুট করেছিলেন তিনি। শেষ কবিতা \"\" মৃত্যুর আট দিন আগে মৌখিকভাবে রচনা করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ।",
"রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর\n১৮৯০ সালে রবীন্দ্রনাথের অপর বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ \"\" প্রকাশিত হয়। কুড়ি থেকে ত্রিশ বছর বয়সের মধ্যে তাঁর আরও কয়েকটি উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ ও গীতিসংকলন প্রকাশিত হয়েছিল। এগুলি হলো \"\", \"\", \"রবিচ্ছায়া\", \"\" ইত্যাদি। ১৮৯১ থেকে ১৮৯৫ সাল পর্যন্ত নিজের সম্পাদিত \"সাধনা\" পত্রিকায় রবীন্দ্রনাথের বেশ কিছু উৎকৃষ্ট রচনা প্রকাশিত হয়। তাঁর সাহিত্যজীবনের এই পর্যায়টি তাই \"সাধনা পর্যায়\" নামে পরিচিত। রবীন্দ্রনাথের \"গল্পগুচ্ছ\" গ্রন্থের প্রথম চুরাশিটি গল্পের অর্ধেকই এই পর্যায়ের রচনা। এই ছোটগল্পগুলিতে তিনি বাংলার গ্রামীণ জনজীবনের এক আবেগময় ও শ্লেষাত্মক চিত্র এঁকেছিলেন।",
"গীতাঞ্জলি\nরবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নিজেই \"গীতাঞ্জলি\"-র কবিতা ও গানগুলি ইংরেজি ভাষায় অনুবাদ করার কাজ শুরু করেছিলেন। মূল বাংলা কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত ৫৩টি গান \"সং অফারিংস\" সংকলনে প্রকাশিত হয়। তবে রবীন্দ্রনাথ নিজে সব কটি কবিতা ও গানের অনুবাদ করেননি। কয়েকটি অনুবাদ করেছিলেন ব্রাদার জেমস। ব্রিটিশ কবি ও অনুবাদক জো উইন্টার বাংলাভাষা শিখে মূল বাংলা গীতাঞ্জলি সর্বাংশে ইংরেজী ভাষায় অনুবাদ করেছেন। নিচে \"গীতাঞ্জলি\" কাব্যের ১২৫ সংখ্যক গানটি উদ্ধৃত করা হল:\nরবীন্দ্রনাথের করা ইংরেজি অনুবাদে এটি হয়েছে (\"Gitanjali\", verse VII):"
] | 60 |
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কবে প্রতিষ্ঠিত হয় ? | [
"খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়\nবাংলাদেশের নেতৃস্থানীয় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) অন্যতম । কুয়েট খুব উচ্চ মানের শিক্ষা, প্রকৌশল পাশাপাশি মৌলিক বিজ্ঞানের প্রধান শাখাসমূহ গবেষণা ও উন্নয়নমূলক কর্মসূচীর জন্য ভালোভাবে পরিচিত। দেশের এবং বিশেষ করে দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলের বর্তমান চাহিদা একটি মানসম্পন্ন শিক্ষা, গবেষণা এবং অগ্রগতি অর্জন কুয়েট এর মূল উদ্দেশ্য যা এটাকে \" শ্রেষ্ঠ কেন্দ্র\" হিসাবে গড়ে তুলেছে। খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) ১৯৬৭ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এর প্রকৌশল অনুষদের অধীনে খুলনা ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান নির্দেশে প্রতিষ্ঠানটি তার অভীষ্ট যাত্রা শুরু করে ৩রা জুন ১৯৭৪ সালে।"
] | [
"খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়\nখুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) বাংলাদেশের একটি অন্যতম সরকারি প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়। এটি বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের খুলনা বিভাগের খুলনা জেলায় অবস্থিত। পূর্বে এর নাম ছিল \"বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজি, খুলনা\" ও তারও আগে, \"খুলনা প্রকৌশল মহাবিদ্যালয়\"। এটি বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অন্যতম। এখানে প্রায় ৬ হাজার জন ছাত্রছাত্রী স্নাতক ও স্নাতকোত্তর প্রকৌশল ও বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করছে। এখানকার শিক্ষক সংখ্যা ৩২০-এরও অধিক।\nএছাড়া ১৩২ জন কর্মকর্তা ও ২৯২ জন কর্মচারী আছে। বিশ্ববিদ্যালয়টির অঙ্গন সম্প্রসারণে নতুন কিছু ভবন তৈরি করা হয়েছে যেমন- একাডেমিক ভবন, অডিটোরিয়াম কমপ্লেক্স, ছাত্রাবাস, গ্রন্থাগার, শিক্ষক ডরমিটরি ভবন ইত্যাদি এবং আরও কিছু ভবনের নির্মাণ কাজ চলছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস খুলনা শহর থেকে ১৪ কি.মি. উত্তরে, যশোর-খুলনা মহাসড়কের পাশে ফুলবাড়ীগেটে অবস্থিত।",
"চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়\nচট্টগ্রামে একটি প্রকৌশল শিক্ষালয় প্রতিষ্ঠা করার উদ্দেশ্যে ২৮ ডিসেম্বর,১৯৬৮ সালে 'চট্টগ্রাম প্রকৌশল কলেজ' নামে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের অধীনে এটি যাত্রা শুরু করে। ভর্তি শুরু হয় ১৯৬৮-৬৯ শিক্ষাবর্ষ হতে।১লা জুলাই ১৯৮৬ সালে এটি বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজি,(বিআইটি) চট্টগ্রাম রুপে উন্নীত করা হয়। পরবর্তীতে ১লা সেপ্টেম্বর, ২০০৩ সালে একটি সরকারী অধ্যাদেশের মাধ্যমে এটিকে পূর্ণাঙ্গ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা দেয়া হয়।এছাড়া বিআইটি ঢাকা, বিআইটি খুলনা ও বিআইটি রাজশাহী নামে আরো ৩টি ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজি ছিল যেগুলি পরবর্তিতে যথাক্রমে ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় তে রূপান্তর করা হয়।১৯৭১ সালের বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে চুয়েটের তারেক হুদা এবং মোঃ শাহ নামের ২ জন ছাত্র শহীদ হন। তাঁদের নামে বর্তমানে ছাত্রদের দুটি আবাসিক হলের নামকরণ করা হয়েছে- শহীদ মোহাম্মদ শাহ হল এবং শহীদ তারেক হুদা হল।",
"খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়\nপরে ভাল একাডেমিক এবং গবেষণা ক্ষমতা এবং পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য, এটি একটি স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান থেকে রূপান্তরিত করে ১৯৮৪ সালে রাখা হয় বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি (বিআইটি),খুলনা। একাডেমিক এবং গবেষণার ক্ষেত্রে যুগের চাহিদা মেটানোর জন্য ১ সেপ্টেম্বর ২০০৩ সালে বিআইটি থেকে উন্নীত করে এবং নাম পরিবর্তিত করে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় রাখা হয়।\n১৯৭৪ সালে মাত্র ৯ জন শিক্ষক ও ১২০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে খুলনা প্রকৌশল কলেজ যাত্রা শুরু করে। সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং,ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারি, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ৪০ জন করে শিক্ষার্থী ভর্তি করানো হয়, যার মাঝে ১ জন ছাত্রী ছিলো। পরবর্তীতে মাইগ্রেশন এর মাধ্যমে অন্য কলেজ থেকে আরো ১ জন ছাত্রী ও ১৫ জন ছাত্র যোগ হয়। এতে মোট শিক্ষার্থী দাঁড়ায় ১৩৬ জন। ২ বছর পরে প্রতিটি বিভাগে শিক্ষার্থী সংখ্যা ৬০ জনে উন্নীত করা হয়। ১ং হোস্টেল নামে ১টি মাত্র ছাত্রাবাস ছিলো যা পরবর্তীতে ফজলুল হক হল নামকরন করা হয়। মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বয়লার হাউজে অস্থায়ী ক্যান্টিন চালু ছিলো। সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং,ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারি বিভাগের ল্যাব খুলনা তে সম্পন্ন হলেও মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১ম বছরের ল্যাব বুয়েটে ও ২য় বছর রাজশাহী প্রকৌশল কলেজ এ, যা বর্তমানে রুয়েট। খুলনা যশোর মহাসড়কের সাথে ১৯৭৮ সালে কলেজ সংযোগ কারী রাস্তাটি তৈরি হয়। কলেজে কোন কর্মকর্তা না থাকলেও ১০ জন ৩য় শ্রেনীর ও ৩৯ জন ৪র্থ শ্রেনীর কর্মচারী ছিলো। পরবর্তীতে ছাত্রদের জন্য আরো ৩ টি ছাত্রবাস তৈরি হলেও কোন ছাত্রীনিবাস ছিলো না। ক্যাম্পাসে অবস্থিত স্কুলের ৩য় তলায় ছাত্রীদের থাকার ব্যবস্থা ছিলো।খুলনা প্রকৌশল কলেজ থাকাকালীন সময়ে ১৯৭৪-১৯৮৬ সাল পর্যন্ত সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এ ৩৩৩ জন,ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারি এ ২৪৬ জন এবং মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংএ ১৩৬ জন সর্বমোট ৭১৫ জন শিক্ষার্থী বিএসসি ইন ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রী অর্জন করে।nam=KUET_history>",
"খুলনা\nখুলনা শহরে ১৯০২ সালে প্রতিষ্ঠিত সরকারী বি. এল কলেজ এ অঞ্চলের শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষার চাহিদা মিটিয়ে আসছে। ১৯৯১ সালে খুলনাতে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ও খুলনা মেডিকেল কলেজ স্থাপিত হয়। ২০০৩ সালে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয় যা পূর্বে বাংলাদেশ ইনিষ্টিটিউট অব টেকনোলজি, খুলনা নামে পরিচিত ছিল। এছাড়া দৌলতপুর দিবা-নৈশ কলেজ, আজম খান কমার্স কলেজ, মজিদ মেমোরিয়াল সিটি কলেজ, সুন্দরবন কলেজ, শাহপুর মধুগ্রাম কলেজ, খুলনা পাবলিক কলেজ, পল্লিমঙ্গল বয়েজ ও গার্লস স্কুল, খুলনা জিলা স্কুল, করনেশন গার্লস স্কুল, পাইওনিয়ার কলেজ, আফিল উদ্দিন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, পাইওনিয়ার স্কুল, মন্নুজান স্কুল, রটারি স্কুল, সেন্ট জোসেফ স্কুল, সেন্ট জেভিয়ারস স্কুল, খুলনা কলেজিয়েট স্কুল, ইকবাল নগর গারলস স্কুল, এছাড়া মাদ্রাসার মধ্যে দারুল কুরআন সিদ্দিকীয়া কামিল মাদ্রাসা-খুলনা, খুলনা সরকারী আলিয়া মাদ্রাসা খুলনার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে অন্যতম। মাধ্যমিক শিক্ষার পর কারিগরি শিক্ষার জন্য খুলনা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট ও সিটি পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট আছে।খুলনা পাবলিক কলেজ অত্র অঞ্চলের বিখ্যাত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।",
"নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়\n১৯৯৮ সালে বাংলাদেশের ১২টি জেলায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এই সিদ্ধান্তের আলোকে ২০০৩ সালের ২৫ আগস্ট প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাক্ট-২০০১ কার্যকর হয়। ২০০৩ সালের অক্টোবরে তৎকালিন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করেন। ২০০৫ সালের ২৪ মার্চ আনুষ্ঠানিকভাবে এর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ব্যরিস্টার মওদুদ আহমেদ ছিলেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি। ২৩ জুন ২০০৬ ইং প্রথম একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হয়। শুরুতে এই বিশ্ববিদ্যালয় ৪টি বিভাগ নিয়ে এর কার্যক্রম আরম্ভ করে। এগুলো হলো: কম্পিউটার বিজ্ঞান ও টেলিযোগাযোগ প্রকৌশল, মৎস্য ও সামুদ্রিক বিজ্ঞান, ফার্মেসী, ফলিত রসায়ন ও রাসায়নিক প্রকৌশল। বর্তমানে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৫ টি বিভাগ চালু আছে। প্রতিবছর ১৫ জুলাই দিনটিকে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস হিসেবে পালন করা হয়।",
"শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়\nশাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, প্রকৌশল শাস্ত্রে বিশেষ অবদান প্রদানকারী ও বাংলাদেশে নেতৃত্ব স্থানীয় এ বিশ্ববিদ্যালয়টি ২৫শে আগষ্ট ১৯৮৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ১৯৯১ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি তিনটি বিভাগ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হয়। এর ক্যাম্পাসটি সিলেট শহর হতে প্রায় ৫ কিলোমিটার দূরে কুমারগাঁওয়ে অবস্থিত। বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬টি অনুষদের অধীনে ২৮ টি ডিপার্টমেন্ট রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ও দ্বিতীয় সমবর্তন অনুষ্ঠিত হয় যথাক্রমে ২৯ এপ্রিল ১৯৯৮ এবং ৬ ডিসেম্বর ২০০৭ সালে। এছাড়া সর্বোচ্চ সংখ্যক গবেষনাপত্র সম্পাদনের মাধ্যমে ওয়েবমেট্রিক্স র্যাঙ্কিং এ এই বিশ্ববিদ্যালয় খুব ভাল অবস্থান দখল করে আছে। ইদানীংকালে বাংলাদেশের সবগুলো সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাজুয়েটরাই আনুপাতিক হারে সবচেয়ে বেশি বিশ্বের অন্যান্য দেশে উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার কাজে নিয়োজিত থাকছেন।",
"খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়\nখুলনা মহানগরী থেকে তিন কিলোমিটার পশ্চিমে, খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়ক সংলগ্ন ময়ূর নদীর পাশে গল্লামারীতে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় অবস্থিত। এর আয়তন ১০৫.৭৫একর। \n১৯৭৪ সালে ড. কুদরত-ই-খুদা শিক্ষা কমিশনের রিপোর্টে খুলনা বিভাগে উচ্চ শিক্ষার্থে একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সুপারিশ করা হয়। ১৯৭৯ সালের ১০ নভেম্বর তৎকালীন সরকারের ক্যাবিনেটে খুলনায় একটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের সিদ্ধান্ত হয়। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন অধ্যাদেশ ৫(১)জি ধারা মতে খুলনা বিভাগে একটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের জন্য ১৯৮৩ সালে সরকারের কাছে প্রস্তাব পেশ করা হয়। ১৯৮৬ সালের ১৬ ডিসেম্বর খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়। ১৯৮৭ সালের জানুয়ারি ৪ গেজেটে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ঘোষণা দেওয়া হয়। ১৯৮৯ সালের ৯ মার্চ তৎকালীন রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ১৯৮৯ সালের ১ অগাস্ট বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. গোলাম রহমানকে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম প্রকল্প পরিচালক এবং পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। ১৯৯০ সালের ৩১ জুলাই তারিখে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় আইন সংসদে পাস হয় যা এই প্রতিষ্ঠানের কার্যবিধি নিয়ন্ত্রণ করে। অবশেষে, ১৯৯১ সালের ২৫ নভেম্বর একাডেমিক কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। ঐ বছর থেকে মোট চারটি ডিসিপ্লিনে ৮০ জন ছাত্রছাত্রী নিয়ে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় যাত্রা শুরু করে।",
"আহছানউল্লা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়\nআহছানউল্লা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা আহছানিয়া মিশন দ্বারা ১৯৯৫ সনে \"বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় আইন ১৯৯২\" অণুযায়ী প্রতিষ্ঠিত হয় যা বাংলাদেশের সর্বাধিক মানসম্পন্ন বেসরকারী বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর একটি। ঢাকা আহছানিয়া মিশন একটি অলাভজনক বাংলাদেশী স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন যা ১৯৫৮ সালে খান বাহাদুর আহছানুল্লা প্রতিষ্ঠিত করেন। ঢাকার তেজগাঁওয়ে অবস্থিত এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস । স্থাপত্য ও প্রকৌশল, বিজ্ঞান ও কলা এবং ব্যবসা প্রশাসন ও ব্যবস্থাপনা এবং শিক্ষা অণুষদের অধীনে রয়েছে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের বিভিন্ন বিষয়সমূহ। আহছানউল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয় ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব ইউনিভার্সিটিস, ইউনিভার্সিটি গ্রান্ট কমিশন ও অন্যান্য অনেক জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সহযোগিতা এবং পেশাদার সম্পর্ক রক্ষণাবেক্ষণ করে ।",
"খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ\nখুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ(সংক্ষেপে: খুউক; কেডিএ) খুলনা শহর ভিত্তিক একটি উন্নয়নমুখী প্রতিষ্ঠান। পূর্ব পাকিস্তান সরকারের \"খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ অধ্যাদেশ, ১৯৬১\" এর এক আদেশ বলে কেডিএ প্রতিষ্ঠিত হয়। খুলনা শহর এবং এর উপকণ্ঠ এলাকা সমূহের পরিকল্পিত উন্নয়নের জন্য এই প্রতিষ্ঠানের জন্ম।"
] | 83 |
কুরআনের মোট কতগুলি সূরা আছে ? | [
"কুরআন\nকুরআনে বিভিন্ন দৈর্ঘ্যের মোট ১১৪টি সূরা রয়েছে। সকল সূরা মিলিয়ে মোট আয়াতের (আয়াত আরবি শব্দ, এর সাহিত্যিক অর্থ \"নিদর্শন\") সংখ্যা প্রায় ৬,২৩৬ (মতান্তরে ৬৩৪৮টি অথবা ৬৬৬৬টি)। প্রত্যেকটি সূরার একটি নাম রয়েছে। নামকরণ বিভিন্ন উপায়ে করা হয়েছে; তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সূরার অভ্যন্তরে ব্যবহৃত কোনো শব্দকেই নাম হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে। এছাড়া এমন নামও পাওয়া যায় যা সূরার অভ্যন্তরে ব্যবহৃত হয় নি যেমন সূরা ফাতিহা। ফাতিহা শব্দটি এ সূরার কোথাও নেই। সূরাগুলোর একটি সুনির্দিষ্ট সজ্জা রয়েছে। সজ্জাকরণ তাদের অবতরণের ধারাবাহিকতা অনুসারে করা হয় নি। বরং দেখা যায় অনেকটা বড় থেকে ছোট সূরা অনুযায়ী সাজানো। অবশ্য একথাও পুরোপুরি সঠিক নয়। সজ্জার প্রকৃত কারণ কারও জানা নেই। অনেক ক্ষেত্রে বড় সূরাও ছোট সূরার পরে এসেছে। তবে একটি সূরা বা তার বিভিন্ন অংশ বিভিন্ন ঘটনার প্রেক্ষিতে ধারাবাহিকতার সাথেই অবতীর্ণ হয়েছিল বলে মুসলমানদের ধারণা। কুর’আনের সজ্জাটি মানুষের মুখস্থকরণের সুবিধার সৃষ্টি করেছে।",
"কুরআন\nইসলামী ইতিহাস অনুসারে দীর্ঘ তেইশ বছর ধরে খণ্ড খণ্ড অংশে এটি ইসলামের নবী মুহাম্মাদের নিকট অবতীর্ণ হয়। ইসলামের অনুসারীরা কুরআনকে একটি পুর্ণাঙ্গ জীবন বিধান বলে বিশ্বাস করে। কুরআনে সর্বমোট ১১৪টি সূরা আছে। আয়াত বা পঙক্তি সংখ্যা ৬,২৩৬ টি। এটি মূল আরবি ভাষায় অবর্তীর্ণ হয়। মুসলিম চিন্তাধারা অনুসারে কুরআন ধারাবাহিকভাবে অবর্তীর্ণ ধর্মীয় গ্রন্থগুলোর মধ্যে সর্বশেষ এবং গ্রন্থ অবতরণের এই ধারা ইসলামের প্রথম বাণীবাহক আদম থেকে শুরু হয়। কুরআনে অনেক ঐতিহাসিক ঘটনার উল্লেখ রয়েছে যার সাথে বাইবেলসহ অন্যান্য ধর্মীয়গ্রন্থের বেশ মিল রয়েছে, অবশ্য অমিলও কম নয়। তবে কুরআনে কোনও ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা নেই। ইসলামী ভাষ্যমতে কুরআন অপরিবর্তনীয় এবং এ সম্পর্কে মুসলিমরা কুরআনের সূরা আল-হিজরের (১৫ নং সূরা), ৯ নং আয়াতের কথা উল্লেখ করে থাকে, এবং তা হল:",
"কুরআন\nকুরআনে মোট ৩০ টি পারা বা অধ্যায় রয়েছে। ১১৪টি পূর্নাঙ্গ সূরা রয়েছে। সূরাগুলো বিভিন্ন আকারের হলেও কুরআনের পারাগুলো প্রায় সমান আকারের। কুরআন মুখস্থকরণের ক্ষেত্রে সাধারণতম পারা অনুযায়ী শিক্ষা করানো হয়। যে সকল স্থানে সমগ্র কুরআন পাঠের আয়োজন করা হয় সেখানেও এই পারা অনুযায়ী করা হয়।",
"সূরা\nকুরআনে সর্বমোট ১১৪টি সূরা রয়েছে। কুরআনে সূরার অবস্থানক্রম ইসলামের তৃতীয় খলিফা হযরত উসমানের (রাঃ) নেতৃত্বে নিম্নরূপ নির্ধারণ করা হয়। সূরাগুলোর নামের পাশে বন্ধনীর মধ্যে বাংলা অর্থ দেয়া আছে।"
] | [
"সূরা কাফিরুন\nসূরা আল কাফিরুন () মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কুরআনের ১০৯ তম সূরা। এই সূরাটি মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে এবং এর আয়াত সংখ্যা ৬ টি। রসূলুল্লাহ্ (সাঃ) সূরা কাফিরুন এবং সূরা এখলাস ফজরের সুন্নতে এবং মাগরিব পরবর্তী সুন্নতে এ দু'টি সূরা অধিক পরিমাণে পাঠ করতেন।\nএই সূরাটি সকল মুসলিমদের জন্যে উদাহরণ যে, কোন পরিস্থিতিতেই তারা শত্রুর সাথে আপসে যাবে না যা ইসলাম সমর্থন করেনা এবং এমন পরিস্থিতিতে তারা এই সূরার উপদেশ অনুসরণ করবে যা তাদের (অবিশ্বাসীদের) সম্পূর্ণভাবে হতাশ করবে।",
"সূরা বনী-ইসরাঈল\nবনী-ইসরাঈল বা সূরা ইসরা (আরবি ভাষায়: سورة الإسراء) মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কুরআনের ১৭ তম সূরা, এর আয়াত সংখ্যা ১১১ টি এবং এর রূকুর সংখ্যা ১২ টি। বনী-ইসরাঈল সূরাটি মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে। এই সূরা হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর মেরাজের কথা, পিতা-মাতার ও আত্মীয়-স্বজনের হক, এতীমদের সম্পর্কে, ওয়াদা করার সম্পর্কে, নামায সম্পর্কে, রূহু সম্পর্কে কুরাইশদের প্রশ্ন, বলা হয়েছে।",
"সূরা ইউনুস\nসূরা ইউনুস (আরবি ভাষায়: سورة يونس) মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কুরআনের দশম সূরা। এই সূরাটি মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে এবং এর আয়াত সংখ্যা ১০৯ টি। এই সূরাটিতে কোরাআন পাক ও ইসলামের মৌলিক উদ্দেশ্যাবলী-\nতওহীদ, রিসালাত, আখিরাত ইত্যাদি বিষয়ের যথার্থতা বিশ্বচরাচর এবং তার মধ্যকার পরিবর্তন-পরিবর্তনশীল ঘটনাবলীর মাধ্যমে প্রমাণ দেখিয়ে ভালো করে বোদগম্য করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সাথে সাথে কিছু উপদেশমূলক, ঐতিহাসিক ঘটনাবলী এবং কাহিনীর অবতারণা করে সে সমস্ত লোকদেরকে সতর্ক করা হয়েছে যারা আল্লাহ্ তাআলার এ সব প্রকাশ্য নিদর্শনসমূহের উপর একটু চিন্তা করে না।",
"সূরা ইউসুফ\nইউসুফ (আরবি ভাষায়: يسوف) মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কুরআনের ১২তম সূরা, এর আয়াত অর্থাৎ বাক্য সংখ্যা ১১১ এবং এর রূকু তথা অনুচ্ছেদ সংখ্যা ১২। সূরা ইউসুফ মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে। যদিও অন্যান্য নবীদের ঘটনা কোরআনের বিভিন্ন সূরাতে উল্লেখ করা হয়েছে, কিন্তু শুধু ইউসুফ (আঃ)-এর ঘটনা কোরআনের সূরা ইউসুফে সম্পূর্ণ ধারাবাহিকভাবে বর্ণনা করা হয়েছে। বিশ্ব-ইতিহাস এবং অতীত অভিজ্ঞতার মধ্যে মানুষের ভবিষ্যত জীবনের জন্যে বিরাট শিক্ষা নিহিত থাকে। এসব শিক্ষার স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া মানুষের মন ও মস্তিষ্কের মধ্যে সাধারণ শিক্ষার চাইতে গভীরতর হয়। এ কারণেই গোটা মানব জ়াতির জন্যে সর্বশেষ নির্দেশনামা হিসেবে প্রেরিত কোরআন পাকে সমগ্র বিশ্বের জাতিসমূহের ইতিহাসের নির্বাচিত অধ্যায়সমূহ সন্নিবেশিত করে দেয়া হয়েছে, যা মানুষের বর্তমান ও ভবিষ্যত সংশোধনের জন্যে কার্যকর ব্যবস্থাপত্র।",
"সূরা ত্বীন\nসূরা আত-ত্বীন () মুসলিম ধর্মগ্রন্থ আল-কুরআনের ৯৫ তম সূরা। এর মোট আটটি আয়াত বা বাক্য রয়েছে। ত্বীন শব্দের অর্থ আঞ্জির বা ডুমুর। এই সূরাতে আল্লাহর উপর ঈমান (বিশ্বাস) এবং সৎকর্মশীলতার উপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। এই সূরাতে আল্লাহ প্রদত্ত কয়েকটি নিয়ামত বা অনুগ্রহের দোহাই দিয়ে ঈমান ও সৎকাজ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, যেহেতু মানবজাতি অনেক অনুগ্রহ দ্বারা ধন্য হয়েছে, সেহেতু তাদের উচিত আল্লাহর উপর ঈমান রাখা এবং সৎকাজ করা; নচেৎ তারা নীচ ও শাস্তিযোগ্যরূপে গণ্য হবে।",
"সূরা আল-মাউন\nসূরা আল মাউন মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কুরআনের ১০৭ তম সূরা। এই সূরাটি মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে এবং এর আয়াত সংখ্যা ৭ টি। এ সূরায় কাফের ও মুনাফেকদের কপিয় দুষ্কর্ম উল্লেখ করে তজ্জন্য জাহান্নামের শাস্তি বর্ণনা করা হয়েছে। এ সূরায় এমন সব নামাযীদেরকে ধ্বংসের বার্তা শুনানো হয়েছে যারা নিজেদের নামাযে গাফলতি করে এবং লোক দেখানো নামায পড়ে।"
] | 91 |
মতিউর রহমান নিজামীর বাবার নাম কী ? | [
"মতিউর রহমান নিজামী\nনিজামী ১৯৪৩ সালের ৩১শে মার্চ পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার সলঙ্গী-মনমথপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬৩ সালে কামিল এবং ১৯৬৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন। তার পিতার নাম লুৎফর রহমান খান। ব্যক্তিগত জীবনে নিজামী সামসুন্নাহার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। সামসুন্নাহার ঢাকার মানারাত ইন্টারন্যাশনাল কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এই দম্পত্তির চার পুত্র ও দুই কন্যা রয়েছে।"
] | [
"মতিউর রহমান (সাংবাদিক)\nমতিউর রহমান ১৯৪৬ সালের ২ জানুয়ারি ভারতের কোলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবার নাম ফজলুর রহমান এবং মায়ের নাম লুৎফুনন্নেসা বেগম। তাঁর স্ত্রীর নাম মালেকা বেগম। তাদের এক ছেলে এক মেয়ে। ছেলের নাম মাহমুদুর রহমান এবং মেয়ের নাম মোহসীনা বেগম।",
"মতিউর রহমান (বীর প্রতীক)\nমো. মতিউর রহমানের জন্ম নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ উপজেলার মুড়াপাড়া গ্রামে। তাঁর বাবার নাম তোরাব আলী এবং মায়ের নাম আফিয়া খাতুন। তাঁর স্ত্রীর নাম মিনা রহমান। তাঁদের চার মেয়ে, এক ছেলে।",
"মতিউর রহমান (বীর বিক্রম)\nমতিউর রহমানের জন্ম যশোর জেলায় । তাঁর বাবার নাম রোয়াজেশ আলী জোয়ারদার এবং মায়ের নাম হাজেরা খাতুন। তাঁর স্ত্রীর নাম ফারহানা সুলতানা। তাঁদের এক মেয়ে।",
"মোহাম্মদ মতিউর রহমান (লেখক)\nমোহাম্মদ মতিউর রহমান জন্মেছিলেন কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলার হোসেন্দিতে। তাঁর পিতার নাম মুন্সী মোহাম্মদ হানিফ এবং মাতার নাম মোসাম্মৎ মমরোজউন্নেছা। কিশোরগঞ্জ উচ্চ ইংরেজি বিদ্যালয় থেকে ১৯১৩ সনে ম্যাট্রিক পাস করেন এবং বছরখানেক ঢাকার জগন্নাথ কলেজে পড়েন।",
"মতিউর রহমান (বীর উত্তম)\nমতিউর রহমানের পৈতৃক বাড়ি কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামে। তাঁর বাবার নাম জয়নুদ্দীন ডাক্তার এবং মায়ের নাম জমিলা বেগম। তাঁর স্ত্রীর নাম আমেনা বেগম। তাঁর চার ছেলে ও দুই মেয়ে।",
"মতিউর রহমান (রাজনীতিবিদ)\nমতিউর রহমান ১৯৪২ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি ময়মনসিংহ সদর উপজেলার আকুয়া গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম আবদুর রেজ্জাক এবং মায়ের নাম মেহেরুন্নেসা খাতুন।",
"খন্দকার মতিউর রহমান\nখন্দকার মতিউর রহমানের জন্ম নরসিংদী জেলার রায়পুরা উপজেলার আদিয়াবাদ গ্রামে। তাঁর বাবার নাম খন্দকার সদরউদ্দীন আহমেদ এবং মায়ের নাম জামিলা খাতুন। তাঁর দুই স্ত্রী। তাঁরা হলেন সাহেরা খাতুন ও নাজমা খাতুন। তাঁদের চার ছেলে ও তিন মেয়ে।",
"মতিউর রহমান (বীরশ্রেষ্ঠ)\nমতিউর রহমান ১৯৪১ সালের ২৯ অক্টোবর পুরান ঢাকার ১০৯, আগা সাদেক রোডের \"মোবারক লজ\"-এ জন্মগ্রহণ করেন। তার পৈতৃক নিবাস নরসিংদী জেলার রায়পুরা থানার রামনগর গ্রামে। যা এখন মতিনগর নামে পরিচিত। ৯ ভাই ও ২ বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন ৬ষ্ঠ। তাঁর বাবা মৌলভী আবদুস সামাদ, মা সৈয়দা মোবারকুন্নেসা খাতুন। ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল থেকে ষষ্ঠ শ্রেণী পাস করার পর সারগোদায় পাকিস্তান বিমান বাহিনী পাবলিক স্কুলে ভর্তি হন। ডিস্টিংকশনসহ মেট্রিক পরীক্ষায় সাফল্যের সাথে প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হন।",
"মতিউর রহমান মল্লিক (ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানে শহীদ)\nশহীদ মতিউর রহমান মল্লিকের জন্ম ঢাকায়। তার বাবার নাম আজাহার আলী মল্লিক।"
] | 3 |
মহাভারত কথাটির অর্থ কী ? | [
"মহাভারত\nপ্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী, \"মহাভারত\"-এর রচয়িতা ব্যাসদেব। অনেক গবেষক এই মহাকাব্যের ঐতিহাসিক বিকাশ ও রচনাকালীন স্তরগুলি নিয়ে গবেষণা করেছেন। অধুনা প্রাপ্ত পাঠটির প্রাচীনতম অংশটি মোটামুটি ৪০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ নাগাদ রচিত হয়। মহাভারতের মূলপাঠটি তার বর্তমান রূপটি পরিগ্রহ করে গুপ্তযুগের প্রথমাংশে (খ্রিষ্টীয় চতুর্থ শতাব্দী)। \"মহাভারত\" কথাটির অর্থ হল \"ভরত বংশের মহান উপাখ্যান\"। গ্রন্থেই উল্লিখিত হয়েছে যে \"ভারত\" নামে ২৪,০০০ শ্লোকবিশিষ্ট একটি ক্ষুদ্রতর আখ্যান থেকে \"মহাভারত\" মহাকাব্যের কাহিনিটি বিস্তার লাভ করে।",
"ধর্মগ্রন্থ\nপ্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী, \"মহাভারত\"-এর রচয়িতা ব্যাসদেব। অনেক গবেষক এই মহাকাব্যের ঐতিহাসিক বিকাশ ও রচনাকালীন স্তরগুলি নিয়ে গবেষণা করেছেন। অধুনা প্রাপ্ত পাঠটির প্রাচীনতম অংশটি মোটামুটি ৪০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ নাগাদ রচিত হয়। মহাভারতের মূলপাঠটি তার বর্তমান রূপটি পরিগ্রহ করে গুপ্তযুগের প্রথমাংশে (খ্রিষ্টীয় চতুর্থ শতাব্দী)। \"মহাভারত\" কথাটির অর্থ হল \"ভরত বংশের মহান উপাখ্যান\"। গ্রন্থেই উল্লিখিত হয়েছে যে \"ভারত\" নামে ২৪,০০০ শ্লোকবিশিষ্ট একটি ক্ষুদ্রতর আখ্যান থেকে \"মহাভারত\" মহাকাব্যের কাহিনিটি বিস্তার লাভ করে।"
] | [
"কালী\n‘কালী’ শব্দটি ‘কাল’ শব্দের স্ত্রীলিঙ্গ। এই শব্দের অর্থ ‘কৃষ্ণ’ (কালো) বা ‘ঘোর বর্ণ’। হিন্দু মহাকাব্য \"মহাভারত\"-এ যে ভদ্রকালীর উল্লেখ আছে, তা দেবী দুর্গারই একটি রূপ। \"মহাভারত\"-এ ‘কালরাত্রি’ বা ‘কালী’ নামে আরও এক দেবীর উল্লেখ পাওয়া যায়। ইনি যুদ্ধে নিহত যোদ্ধৃবর্গ ও পশুদের আত্মা বহন করেন। আবার \"হরিবংশ\" গ্রন্থে কালী নামে এক দানবীর উল্লেখ পাওয়া যায়।",
"মহাভারত\n\"মহাভারত\"-এর মূল উপজীব্য বিষয় হল কৌরব ও পাণ্ডবদের গৃহবিবাদ এবং কুরুক্ষেত্র যুদ্ধের পূর্বাপর ঘটনাবলি। তবে এই আখ্যানভাগের বাইরেও দর্শন ও ভক্তির অধিকাংশ উপাদানই এই মহাকাব্যে সংযোজিত হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, ধর্ম, অর্থ, কাম ও মোক্ষ – এই চার পুরুষার্থ-সংক্রান্ত একটি আলোচনা (১২।১৬১) সংযোজিত হয়েছে এই গ্রন্থে। \"মহাভারত\"-এর অন্তর্গত অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ রচনা ও উপাখ্যানগুলি হল \"ভগবদ্গীতা\", দময়ন্তীর উপাখ্যান, \"রামায়ণ\"-এর একটি সংক্ষিপ্ত পাঠান্তর ইত্যাদি; তবে এগুলিকে \"মহাভারত\"-রচয়িতার নিজস্ব সৃষ্টি বলে মনে করা হয়।",
"দেবীভাগবত পুরাণ\nসমগ্র পুরাণ সাহিত্য ও \"মহাভারত\" গ্রন্থের সঙ্গে এই পুরাণটিও প্রথামতে ব্যাসের রচনা। ‘দেবীভাগবত’ নামটি ‘দেবী’ ও ‘ভাগবত’ শব্দদুটির সংযুক্তির মাধ্যমে সৃষ্ট। এই শব্দবন্ধের অর্থ ‘দেবীশক্তির ভক্ত’। খ্রিস্টপূর্ব ২য় সহস্রাব্দে রচিত বৈদিক সাহিত্যেই ‘দেব’ ও ‘দেবী’ শব্দদুটি পাওয়া যায়। সেখানে ‘দেব’ শব্দটি পুংলিঙ্গ ও ‘দেবী’ শব্দটি স্ত্রীলিঙ্গ। মনিয়ার উইলিয়ামস এই নামদুটির অর্থ করেছেন, “স্বর্গীয়, দিব্য, উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন পার্থিব সত্ত্বা, গৌরবোজ্জ্বল সত্ত্বা।” ব্যুৎপত্তিগতভাবে সংস্কৃত ‘দেবী’ লাতিন \"dea\" ও গ্রিক \"thea\" শব্দের অনুরূপ। ‘ভাগবত’ শব্দের অর্থ ‘ঈশ্বরের ভক্ত’।",
"মা মাটি মানুষ\nমা মাটি মানুষ হল সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস প্রধান ও পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দ্বারা উদ্ভাবিত একটি রাজনৈতিক স্লোগান। স্লোগানের কথাটির অর্থ হল \"মাতৃজাতি, মাতৃভূমি, এবং জনগণ\"। স্লোগানটি ২০০৯ সালের সাধারণ নির্বাচন এবং ২০১১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের সময় পশ্চিমবঙ্গে খুবই জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। এটি উক্ত রাজনৈতিক দলের প্রায় সমস্ত রাজনৈতিক ও নির্বাচনী প্রচারে বহুল ব্যবহৃত হত৷\nপরে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একই শিরোনামের একটি বাংলা বই লেখেন। বেশ কয়েকটি বাংলা থিয়েটার দল (যাত্রাদল) এই স্লোগানটিকে শিরোনাম হিসাবে রেখে নাট্য (যাত্রাপালা) প্রযোজনা করে। থিমটিকে গৌরবোজ্জ্বল করতে একই শিরোনামে একটি গানও রেকর্ড করা হয়েছে। জুন ২০১১ সালে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, এটি সে সময়ে ভারতের সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনৈতিক স্লোগানের ছয়টির মধ্যে একটি ছিল।",
"ধর্মগ্রন্থ\n\"মহাভারত\"-এর মূল উপজীব্য বিষয় হল কৌরব ও পাণ্ডবদের গৃহবিবাদ এবং কুরুক্ষেত্র যুদ্ধের পূর্বাপর ঘটনাবলি। তবে এই আখ্যানভাগের বাইরেও দর্শন ও ভক্তির অধিকাংশ উপাদানই এই মহাকাব্যে সংযোজিত হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, ধর্ম, অর্থ, কাম ও মোক্ষ – এই চার পুরুষার্থ-সংক্রান্ত একটি আলোচনা (১২।১৬১) সংযোজিত হয়েছে এই গ্রন্থে। \"মহাভারত\"-এর অন্তর্গত অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ রচনা ও উপাখ্যানগুলি হল \"ভগবদ্গীতা\", দময়ন্তীর উপাখ্যান, \"রামায়ণ\"-এর একটি সংক্ষিপ্ত পাঠান্তর ইত্যাদি। এগুলিকে \"মহাভারত\"-রচয়িতার নিজস্ব সৃষ্টি বলে মনে করা হয়।",
"মহাভারত\nমহাভারতের বিশালতা তথা দার্শনিক গূঢ়তা কেবল ভারতের পৌরাণিক আখ্যানই নয়, বরং এটিকে সমগ্র হিন্দু ধর্ম এবং বৈদিক দর্শন ও সাহিত্যের সারসংক্ষেপ বলা যেতে পারে। 'মহাভারত' নামটির উৎপত্তি প্রসঙ্গে একটি আখ্যান প্রচলিত যে, দেবতারা তুলাযন্ত্রের একদিকে চারটি বেদ রাখেন ও অন্যদিকে বৈশম্পায়ন প্রচারিত ভারত গ্রন্থটি রাখলে দেখা যায় ভারত গ্রন্থটির ভার চারটি বেদের চেয়েও অনেক বেশি। সেই কারণে ভারত গ্রন্থের বিশালতা দেখে দেবগণ ও ঋষিগণ এর নামকরণ করলেন 'মহাভারত'। আবার একে 'পঞ্চম বেদ'ও বলা হয়। জগতের তাবৎ শ্রেষ্ঠ বস্তুর সঙ্গে একে তুলনা করে বলা হয়েছে: \"মহত্ত্বাদ্ ভারতবত্ত্বাচ্চ মহাভারতমুচ্যতে।\"",
"মহাভারত\nমহাভারত (সংস্কৃত: महाभारतम्) সংস্কৃত ভাষায় রচিত প্রাচীন ভারতের দুটি প্রধান মহাকাব্যের অন্যতম (অপরটি হল \"রামায়ণ\")। এই মহাকাব্যটি হিন্দুশাস্ত্রের \"ইতিহাস\" অংশের অন্তর্গত।",
"আত্মা (দর্শন)\nহিন্দু বিশ্বাসমতে \"আত্মা\" হল চিৎকণা, যাহা মানুষ, পশুু, উদ্ভিদ, জল, স্থল, অন্তরীক্ষ সর্বত্র পরিব্যাপ্ত । এই আত্মার অপর নাম পরমাত্মা বা পরমেশ্বর নয় । পরমাত্মা হল পরমেশ্বর ভগবানের এক বিশেষ রূপ । প্রতিটি জীবের হৃদয়ে জীবাত্মা(আত্মা) ও পরমাত্মা উভয়ই বতর্মান । পরমাত্মার ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশ এসে জীবাত্মায় যখন প্রোথিত হয় তখন জীব তার জীবন লাভ করে । আবার জীবের মৃত্যুর পর সে আত্মা আবার পরমাত্মার কাছে চলে যায় এবং পরমাত্মার সাথে বিলীন হয় । এটি হল সাযুজ্য মুক্তি । এতে কোনো আনন্দ নেই ।\nকিন্তু, আত্মা যদি তার জীবিত অবস্হায় ধর্ম বা পাপ অর্জন করে, তখন সে তার কর্মফল ভোগ করার জন্য স্বর্গ অথবা নরক ভোগ করে, অথবা, যোনী ভ্রমন করে পশু যোণী বা উদ্ভিদ যোণী প্রাপ্ত হয়, কিছু সময়ের জন্য। ঐ সময়ে সে তার পূর্ব জন্ম-অর্জিত পূণ্য বা পাপ বিনষ্ট করে আবার পবিত্র হয়ে ষায়, এবং পরমাত্মার কাছে গিয়ে তার সহিত বিলীন হয়ে যায়।\nপরমাত্মা, দেবাত্মা, মানবআত্মা অর্থাৎ জীবাত্মা, প্রেতাত্মা (ভূত) - এই চারি প্রকার আত্মার মধ্যে দেবাত্মা হল পরমাত্মা দ্বারা নিযোজিত শক্তি। যাহারা এক একটি সময়ে অাসেন এবং আবার ফিরে পরমাত্মার কাছে চলে যান। অন্যদিকে, প্রেতাত্মা হল এমন একটি আত্মা যাহা পরমাত্মা এর কাছে ফিরে যাবার পথ খুজে পাচ্ছে না বা কর্মফল জনিত কারনে দীর্ঘ সময়ের সাজা ভুগছে। কখনও কখনও সে নিজে ঈশ্বর হবার প্রয়াস করে মনুষ্যগনকে অলৈকিক কিছু দেখিয়ে তার ভজন, নাম কীত্তন করাতে তার ধর্ম গ্রহনে মানুষকে প্ররোচিত করে। এবং পরমাত্মার কাছে মানুষ যাতে যেতে না পারে, এবং তার নিজের তৈরী স্বর্গেতে নিয়ে যাবার প্রযত্ন করে। এভাবে সে কম শক্তিশালী মানবদেরকে ঈশ্বরের রাস্তা থেকে বিচ্যুত করতে প্রযত্ন করে।"
] | 61 |
কেনিয়ার মুদ্রার নাম কী ? | [
"কেনিয়া\nএক নজরে কেনিয়া : দেশের নাম- কেনিয়া। অফিসিয়াল নাম - দ্য রিপাবলিক অব কেনিয়া। রাজধানী- নাইরোবি। ভাষা- সুয়াহিলি ও ইংরেজি। সরকার ব্যবস্থা - আধা প্রেসিডেন্ট শাসিত প্রজাতন্ত্র। আয়তন- ৫৮০,৩৬৭ বর্গ কিলোমিটার। লোকসংখ্যা- ৪১,০৭০,৯৩৪ জন (২০১১ সালের শুমারী অনুযায়ী)। জনসংখ্যার ঘনত্ব - প্রতি বর্গকিলোমিটারে ৬৭.২ জন।মাথাপিছু আয়- ১,৭২৫ মার্কিন ডলার। স্বাধীনতা- ১২ ডিসেম্বর ১৯৬৩ (ব্রিটেন থেকে)। প্রজাতন্ত্র ঘোষণা - ১২ ডিসেম্বর ১৯৬৪। মাথাপিছু আয়- ১,৭২৯ ডলার (২০০৯ সালের হিসেব অনুযায়ী)\nমুদ্রার নাম- কেনিয়ান শিলিং। ইন্টারনেট ডোমিং- .শব। কলিং কোড- +২৫৪"
] | [
"২০১৩ সিইসিএএফএ কাপ\n২০১২ সালের ২৫ নভেম্বর নিলামের পর স্বাগতিক দেশ হিসাবে কেনিয়ার নাম ঘোষণা করা হয়, যেখানে কেনিয়ার পরই রুয়ান্ডার অবস্থান করছিল। যাহোক, মরক্কোর মারাক্কেশে কনফেডারেশন অব আফ্রিকান ফুটবল এর কংগ্রেস সম্মেলনের আগ পর্যন্ত স্বাগতিক দেশের নাম নিশ্চিত হয়নি। অবশেষে এ সম্মেলনের পর ২০১৩ সালে ১১ মার্চ ঘোষণা করা হয় যে, কেনিয়া ফুটবল ফেডারেশন সিইসিএএফএ কাপ আয়োজনে প্রস্তুত এবং তাতে কেনিয়া সরকারেরও সমর্থন রয়েছে। কেনিয়ার রাজধানী শহর নাইরোবি সহ মোম্বাসা, কিসুমু, মাচাকোস এবং নাকুরু পাচঁটি শহরে ছয়টি ভেন্যু নির্বাচন করা হয়।",
"কেনিয়া পর্বত\nমাউন্ট কেনিয়ার শৃঙ্গগুলির নাম দেওয়া হয়েছে তিনটি ভিন্ন সূত্র থেকে।প্রথমত, বিভিন্ন মাসাই মহাপুরুষদের স্মরণ করে যেমন বাতিয়ান, নেওলিন এবং লেনানা। তারা স্মরণ করে এম্বাতিয়ান, যিনি একজন মাসাই লাইবোন(চিকিতসক)ছিলেন, নেলিএং, তার ভাই, এবং লেনানা এবং সেন্ডেও, তার দুই পুত্রের নাম । তেরেরে, নামকরণ করা হয় আর একজন মাসাই মহাপুরুষের নামে।",
"উহুরু কেনিয়াত্তা\nউহুরু মুইগাই কেনিয়াত্তা (; জন্ম: ২৬ অক্টোবর, ১৯৬১) নাইরোবিতে জন্মগ্রহণকারী কেনিয়ার বিশিষ্ট রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। তিনি কেনিয়ার চতুর্থ রাষ্ট্রপতি হিসেবে বর্তমানে দেশ পরিচালনা করছেন। এর পূর্বে তিনি কেনিয়ার উপ-প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। গাটুন্ডু সাউথ কন্সটিটুয়েন্সি থেকে সংসদ সদস্য ছিলেন তিনি। এছাড়াও, কেনিয়া আফ্রিকান ন্যাশনাল ইউনিয়ন বা কানু'র সভাপতি ছিলেন।",
"কেনিয়া পর্বত\nমাউন্ট কেনিয়া কেনিয়ার সর্বোচ্চ পর্বত, , এবং আফ্রিকার দ্বিতীয়-সর্বোচ্চ পর্বত, কিলিমাঞ্জারো র পরেই । পর্বতটির সর্বোচ্চ শিখরগুলি হল বাতিয়ান (), নেলিওন () এবং পয়েন্ট লেনানা ()।মাউন্ট কেনিয়া, কেনিয়ার প্রাক্তন পূর্ব প্রদেশ, অধুনা পূর্ব অঞ্চলে, নিরক্ষরেখার দক্ষিণে, রাজধানী নাইরোবি থেকে প্রায় উত্তর-উত্তরপূর্ব অবস্থিত। কেনিয়া পর্বতের নাম থেকেইকেনিয়া প্রজাতন্ত্রের নামটি এসেছে।",
"কেনিয়ার ইতিহাস\n১৪৯৮ সালে পর্তুগিজদের আগমনের সাথে কেনিয়ার উপকূলে আরব আধিপত্যের অবসান ঘটে এবং প্রায় ১৫০ বছর ধরে পর্তুগিজরা এখানে আধিপত্য বজায় রাখে। ১৯শ শতকের মধ্যভাগে পূর্ব আফ্রিকাতে ব্রিটিশরা অভিযান চালায় এবং ১৮৯৫ সালে কেনিয়া একটি ব্রিটিশ-রক্ষিত রাষ্ট্রে বা প্রোটেক্টোরেটে পরিণত হয়। এর নাম ছিল ব্রিটিশ ইস্ট আফ্রিকা। এই পর্বে কেনিয়ার অভ্যন্তরের উর্বর উচ্চভূমিগুলিতে ইউরোপীয়রা বসতি স্থাপন শুরু করে এবং সেখানকার আদিবাসী কিকুয়ু ও অন্যান্য জাতির লোকদের বাসস্থান থেকে উৎখাত করে।",
"জাপানি ইয়েন\nজাপানি ইয়েন বা জাপানি এন (মুদ্রা প্রতীক: ¥; ব্যাংক কোড: JPY) ( \"এন্\") জাপানের মুদ্রার নাম। মার্কিন ডলার, ইউরো এর পর জাপানি এন তৃতীয় মুদ্রা যা বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়। জাপানি ইয়েন-ও বহুলভাবে একটি সংচিতি মুদ্রা হিসেবে সংরক্ষিত।",
"কেনিয়া\nদ্য রিপাবলিক অব কেনিয়া পূর্ব আফ্রিকার একটি দেশ। ভারত মহাসাগরের পাশে অবস্থিত কেনিয়ার সীমান্ত সোমালিয়া ঘিরে রেখেছে উত্তরপূর্ব দিক থেকে। এছাড়া ইথিওপিয়া রয়েছে উত্তরে, আর উগান্ডা ও সুদান আছে উত্তরপশ্চিম দিক ঘিরে। পশ্চিম দিকে রয়েছে লেক ভিক্টোরিয়া। আর তানজানিয়ার অবস্থান দণিপশ্চিমে। কেনিয়ার উল্লেখযোগ্য দিক এর বিশাল বনভূমি। এই বনভূমিতে রয়েছে হাজার হাজার প্রজাতির পশুপাখি। কেনিয়ার রাজধানী হচ্ছে নাইরোবি। ৫ লাখ ৮০ হাজার বর্গকিলোমিটারের দেশটির জনসংখ্যা খুব বেশি নয়। মাত্র ৪১ মিলিয়ন। তবে জনসংখ্যা কম হলেও কেনিয়াতে রয়েছে অন্তত চল্লিশটি পৃথক পৃথক আদিবাসী গোষ্ঠী। আফ্রিকার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পর্বতশিখর ‘মাউন্ড কেনিয়া’ থেকেই কেনিয়া নামটি নেয়া হয়েছে। কেনিয়া শব্দটি মূলত এসেছে কিরিনইয়াগা, কিরিনইয়া এবং কীনইয় শব্দ থেকে। ইংরেজিতে এগুলোর অর্থ হচ্ছে ‘গড’স রেস্টিং প্লেস’ বা প্রভুর বিশ্রাম নেয়ার জায়গা। কেনিয়ার আদিবাসীরা বিশ্বাস করতো এই পর্বত খুবই নিরাপদ এবং পবিত্র স্থান। প্রাগৈতিহাসিক যুগে ‘মাউন্ট কেনিয়া’র অগ্নুৎপাতের ফলে কেনিয়া সৃষ্টি হয়। আর তখন থেকেই এর মূল আদিবাসী কিকুইয়ুরা এ অঞ্চলে বসবাস করতে শুরু করে। ১৯ শতকে জার্মান শাসক লুদউইক কার্প কেনিয়ার বর্তমান নামকরণটি করেন।",
"জিহোনিঅ\nজিহোনিঅর মুদ্রার এক পিঠে চাবুক হাতে ও ধনুক পিঠে অশ্বারূঢ় রাজার প্রতিকৃতি এবং গ্রিক লিপিতে \"মান্নোলোউ উইওউ সাত্রাপি জেইওনিসোউ\" কথাটি এবং অপর পিঠে কোন নগরদেবীর নিকট হতে রাজার মুকুট লাভের চিত্র ও খরোষ্ঠী লিপিতে \"মনিগুলস ছত্রপস পুত্রস ছত্রপস জিহুনিঅস\" কথাটি উৎকীর্ণ রয়েছে। মুদ্রার এই লিপিগুলি থেকে জানা যায় যে, জিহোনিঅর পিতার নাম ছিল মনিগুল।",
"জোমো কেনিয়াত্তা\nনাইরোবির জোমো কেনিয়াত্তা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, কেনিয়াত্তা আন্তর্জাতিক কনফারেন্স সেন্টার, নাইরোবির প্রধান সড়ক ও কেনিয়ার অনেক শহরের সড়ক, বহু বিদ্যালয়, দুটি বিশ্ববিদ্যালয় (কেনিয়াত্তা বিশ্ববিদ্যালয় ও জোমো কেনিয়াত্তা কৃষি ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়), দেশের প্রধান হাসপতাল, মার্কেটসমূহ, হাউজিং এস্টেটের নামকরণ তার নামানুসারে করা হয় যা কেউ কেউ রাজতন্ত্রের শাসকদের মত বলে মনে করেন। নাইরোবি শহরের কেন্দ্রে ও কেনিয়ার প্রায় সকল স্থানে তার সম্মানে ভাস্কর্য নির্মাণ করা হয়েছে। কেনিয়াতে পূর্বে প্রতি বছরের ২০শে অক্টোবর কেনিয়াত্তা দিবস পালন করা হতো কিন্তু ২০১০ সালের সংবিধানে কেনিয়াত্তা দিবস লুপ্ত করে দিনটিকে মাসুজা (বীর) দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। কেনিয়ার কাগোজে নোট ও মুদ্রায় কেনিয়াত্তার প্রতিকৃতি ব্যবহার করা হয়েছে যদিও ২০১০ এর সংবিধান সংশোধনীতে কেনিয়ার কেনিয়ার কোন মুদ্রায় কোন মানুষের প্রতিকৃতি ব্যবহার নিষেধের বিল পাশের কথা আশা করা হচ্ছিল।"
] | 97 |
আচেহ সালতানাতের রাজধানী কোথায় ছিল ? | [
"আচেহ সালতানাত\nআচেহ সালতানাত, সরকারিভাবে আচেহ দারুসসালাম রাজতন্ত্র (; জাউয়ি: كاورجاون اچيه دارالسلام), ছিল আধুনিক ইন্দোনেশিয়ার আচেহ প্রদেশকেন্দ্রিক একটি সালতানাত। ১৬শ ও ১৭শ শতাব্দীতে এটি একটি প্রধান আঞ্চলিক শক্তি ছিল। পরে সালতানাতের ক্রমাবনতি ঘটে। কুতারাজা ছিল এর রাজধানী যা বর্তমান বান্দা আচেহ।"
] | [
"আচেহ সালতানাত\nসমৃদ্ধির শিখরে থাকাবস্থায় আচেহ সালতানাতের সাথে জহর সালতানাত ও পর্তুগিজ নিয়ন্ত্রিত মালাক্কার মধ্যে শত্রুতা ছিল। এই দুটি অঞ্চল ছিল মালয় উপদ্বীপে। তিন পক্ষই মালাক্কা প্রণালী এবং স্থানীয় রপ্তানি পণ্য গোল মরিচ ও টিনের বাণিজ্যের নিয়ন্ত্রণ নিতে চেষ্টা চালায়। এক্ষেত্রে পক্ষসমূহ ক্ষেত্রবিশেষে সাফল্য লাভ করে। উল্লেখযোগ্য সামরিক শক্তির পাশাপাশি আচেহর রাজদরবার ইসলামি পান্ডিত্য ও বাণিজ্যের কেন্দ্র হয়ে উঠে।",
"আচেহ সালতানাত\n১৮২০ এর দশকে আচেহ পৃথিবীতে গোলমরিচের সরবরাহের অর্ধেক উৎপাদন করত। সুলতান টুঙ্কু ইবরাহিম সালতানাতের নিয়ন্ত্রণ কিছু এলাকায় পুনপ্রতিষ্ঠায় সক্ষম হন এবং \"গোলমরিচ রাজা\"দের উপর নিয়ন্ত্রণ পান। এরা সুলতানের অধীনস্থ ছিল এবং একে অন্যের বিরুদ্ধে লিপ্ত হত। তিনি তার ভাই মুহাম্মদ শাহর শাসনামলে ক্ষমতায় উঠে আসেন। ডাচরা যখন উত্তরে তাদের অবস্থান শক্ত করছিল তখন তিনি দক্ষিণে তার নিয়ন্ত্রণ গড়ে তোলেন।",
"আচেহ সালতানাত\nআলাউদ্দিন রিয়ায়াত শাহ ইবনে ফিরমান শাহ ১৫৮৯ থেকে ১৬০৪ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত সুলতান ছিলেন। অভ্যন্তরীণ বিরোধ আরেকজন ক্ষমতাশালী সুলতানকে ১৬০৭ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত উঠে আসতে বাধা প্রদান করে। এসময় ইসকান্দার মুদা ক্ষমতায় আসেন। তিনি সুমাত্রার অধিকাংশ এলাকায় সালতানাতের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি মালয় উপদ্বীপের একটি টিন উৎপাদনকারী অঞ্চল পাহাং জয় করেন। তিনি জহরের সুলতানকে তার কর্তৃত্ব মেনে নিতে বাধ্য করেন। তার শাসনামলে তিনি \"আদাত মেউকুতা আলাম\" (আদাত অর্থ \"প্রথা বা \"প্রথাগত নিয়ম\") নামক আইন প্রণয়ন করেন। ১৬২৯ খ্রিষ্টাব্দে মালাক্কার বিরুদ্ধে অভিযানের সময় তার শক্তিশালী নৌবহর ধ্বংস হয়। পর্তুগিজ বিবরণ অণুযায়ী পর্তুগিজ ও জহরের সম্মিলিত বাহিনী তার সব জাহাজ ১৯,০০০ সৈনিকসহ ধ্বংস করে দিতে সক্ষম হয়। তবে আচেহর বাহিনী ধ্বংস হয়নি। সে বছর তারা কেদাহ জয় করে এবং এর অনেক নাগরিককে বন্দী করে আচেহ নিয়ে আসা হয়। সুলতানের জামাতা ও পাহাঙের সাবেক রাজপুত্র ইসকান্দার থানি তার উত্তরসুরি হন। তার শাসনামলে আচেহর অভ্যন্তরীণ অবস্থার উন্নতি ও ধর্মীয় ঐক্য দেখা যায়।",
"ইসকান্দার মুদা\nইসকান্দার মুদা (১৫৮৩? – ২৭ ডিসেম্বর ১৬৩৬) ছিলেন আচেহ সালতানাতের দ্বাদশ সুলতান। তার শাসনামলে আচেহর সীমানা সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌছায়। এছাড়াও এই রাজ্য পশ্চিম ইন্দোনেশীয় দ্বীপপুঞ্জ ও মালাক্কা প্রণালী অঞ্চলে সামরিক ও অর্থনৈতিক দিক থেকে শক্তিশালী হয়। \"ইসকান্দার মুদা\" নামের আক্ষরিক অর্থ \"তরুণ আলেক্সান্ডার\"। তার বিজয় অভিযানকে কখনো কখনো আলেক্সান্ডার দ্য গ্রেটের সাথে তুলনা করা হত। বিজয় অভিযান ছাড়াও তার শাসনামলে আচেহ ইসলামি জ্ঞান ও বাণিজ্যের আন্তর্জাতিক কেন্দ্র হয়ে উঠে।",
"আশুর\nআশুর (আক্কাদীয়; সিরিও: 'আশুর; : Āshūr; אַשּׁוּר আসসুর, : Āshūr, কুর্দি আসুর) কালা আত শেরকাত নামেও পরিচিত, প্রাচীন আশারীয় শহর, প্রাচীন আসিরিয় সাম্রাজ্য ( ২০২৫-১৭৫০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ), মধ্য অ্যাসিরিয় সাম্রাজ্য (১৩৬৫-১০৫০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ) এবং নব্য-আসিরিয় সাম্রাজ্যের (৯১১-৬০৫ খ্রিস্টপূর্বাব্দ) রাজধানী ছিলো। শহরটির ধ্বংসাবশেষ দজলা নদীর পশ্চিম পাড়ে, ছোট যাব নদীর উজানে, আধুনিক দিনের ইরাকে স্পষ্ট করে বলতে গেলে সালাহউদ্দিন প্রদেশের আল-শিরকাত জেলায় অবস্থিত।",
"দেলি সালতানাত\nসুলতান ইসকান্দার মুদার শাসনামলে আচেহ সালতানাতের সমৃদ্ধির যুগের সাথে দেলি সালতানাতের ইতিহাসের সম্পর্ক রয়েছে। ১৬১২ খ্রিষ্টাব্দে আচেহ দারুস সালামের বিস্তার শুরু হয়। এসময় সুমাত্রার পূর্ব উপকূলের শহরগুলোতে আক্রমণ করা হয়। দেলির উপকূল ছয় সপ্তাহের মধ্যে দখল করে নেয়া হয়। ১৬১৩ খ্রিষ্টাব্দের প্রথমদিকে আরু রাজ্য আত্মসমর্পণ করেছিল। পূর্ব সুমাত্রায় অবস্থিত আরু রাজ্যকে কিছু রচনা কর্মে যেমন দ্বিতীয় টুঙ্কু লোকমান সিনার বাসার শাহর লেখায় হারু রাজ্যও বলা হয়েছে। তিনি পূর্ব সুমাত্রার ইতিহাস নিয়ে নিয়মিত লিখে গেছেন।",
"দেলি সালতানাত\nআচেহর শাসক ১৫শ শতাব্দীর মধ্যভাগে ইসলাম গ্রহণ করেন। আলি মুগায়াত শাহ আচেহ সালতানাত প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তিনি ১৫২০ খ্রিষ্টাব্দে উত্তর সুমাত্রায় তার নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার জন্য অভিযান শুরু করেন। সুলতান ইসকান্দার মুদা তার অভিযানের মাধ্যমে আচেহর সীমানা বৃদ্ধি করেন। ১৬১২ খ্রিষ্টাব্দে দেলি পরাজিত হয় এবং আচেহর অন্তর্গত হয়। ১৮৬১ খ্রিষ্টাব্দে ডাচদের হস্তক্ষেপের পরের বছর ডাচ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সাথে সন্ধি হয় যা আচেহ ও সিয়াকের কাছ থেকে দেলির স্বাধীনতা স্বীকার করতে সহায়তা করে। এটি বর্তমানে ইন্দোনেশিয়ার অংশ। মেদানের ইতিহাসে সালতানাত প্রতীক হিসেবে টিকে রয়েছে।",
"রুম সালতানাত\nরুম সালতানাত (, meaning \"Anatolian Seljuk State\"; \"Saljūqiyān-i Rūm\") মধ্যযুগে আনাতোলিয়ায় অবস্থিত একটি তুর্কি-ফারসি সুন্নি মুসলিম সালতানাত। ১০৭৭ থেকে ১৩০৭ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত এই সালতানাতের অস্তিত্ব ছিল। প্রথমে সালতানাতের রাজধানী ছিল ছিল ইজনিক ও পরে কোনিয়া। তবে সালতানাতের দরবার অনেক সময় স্থানান্তরিত হত। কায়সারি ও সিভাস শহর দুটিই অস্থায়ীভাবে রাজধানী হিসেবে কাজ করেছে। সমৃদ্ধির শীর্ষে থাকাবস্থায় সালতানাত ভূমধ্যসাগর থেকে কৃষ্ণসাগর পর্যন্ত মধ্য আনাতোলিয়া জুড়ে বিস্তৃত ছিল। পূর্বদিকে সালতানাত অন্যান্য তুর্কি রাজ্যগুলোকে একীভূত করে নেয়। পশ্চিম তা দেনিজলি পর্যন্ত পৌছায়।",
"আহমেদনগর সালতানাত\nআহমেদনগর সালতানাত ছিল মধ্যযুগে ভারতের একটি রাজ্য। দক্ষিণাত্যের উত্তরপশ্চিমে গুজরাট ও বিজাপুরের মধ্যে এই রাজ্যের অবস্থান ছিল। ১৪৯০ সালের ২৮ মে বাহমানি সেনাপতি জাহাঙ্গির খানের নেতৃত্বাধীন বাহমানি বাহিনীকে পরাজিত করার পর জুন্নারের বাহমানি গভর্নর মালিক আহমেদ স্বাধীনতা ঘোষণা করে আহমেদনগর সালতানাতে নিজাম শাহি রাজবংশের প্রতিষ্ঠা করেন। প্রথমে তার রাজধানী ছিল জুন্নার শহর। পরে এর নাম শিভনেরি রাখা হয়। ১৪৯৪ সালে নতুন রাজধানী আহমেদনগরের ভিত্তি স্থাপিত হয়। ১৬৩৬ সালে তৎকালীন মুঘল গভর্নর আওরঙ্গজেব (পরবর্তীতে সম্রাট) সালতানাতকে মুঘল সাম্রাজ্যের সাথে একীভূত করেন।"
] | 49 |
খেজুর গাছে খেজুর ফল আসতে কতদিন সময় লাগে ? | [
"খেজুর\nগাছে ফল উৎপাদনের জন্য সচরাচর ৪ থেকে ৮ বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। তবে বাণিজ্যিকভাবে ফসল উৎপাদন উপযোগী খেজুর গাছে ফল আসতে ৭ থেকে ১০ বছর সময় লেগে যায়। পূর্ণাঙ্গ খেজুর গাছে প্রতি মৌসুমে গড়ে ৮০-১২০ কিলোগ্রাম (১৭৬-২৬৪ পাউন্ড) ফল পাওয়া যায়। বাজারজাতকরণের উপযোগী ফল আহরণের জন্য ফলের শাখাকে পাতলা হতে হয়। এর ফলে ফলগুচ্ছ নুইয়ে পড়ে, নীচের ফলগুলো বড় আকারের হয় এবং বাজে আবহাওয়া ও পাখির আক্রমণ থেকে রক্ষা পায়।"
] | [
"খেজুর\nফলটি ডিম্বাকৃতির হয়ে থাকে, যার দৈর্ঘ্য ৩-৭ সে.মি. এবং ব্যাসার্ধে ২-৩ সে.মি. হয়ে থাকে। প্রজাতির উপর নির্ভর করে কাঁচা ফল উজ্জ্বল লাল কিংবা উজ্জ্বল হলুদ বর্ণের হয়ে থাকে। একবীজপত্রী উদ্ভিদ হিসেবে এর বীজ ২-২.৫ সে.মি লম্বা এবং ৬-৮ মি.মি পুরুত্বের হয়। প্রধান তিনটি চাষাবাদ উপযোগী খেজুরের মধ্যে রয়েছে - (ক) \"নরম\" (বর্হি, হলয়ি, খাদরয়ি, মেদজুল); (খ) \"অর্ধ-শুষ্ক\" (দেরি, দেগলেত নূর, জাহদি) এবং (গ) \"শুকনো\" (থুরি)। ফলের রকমফেরের ভিন্নতাজনিত কারণে গ্লুকোজ, ফ্রুক্টোজ এবং সুক্রোজের ন্যায় বিভিন্ন উপাদানের মাত্রা নির্ভরশীল।",
"ডুগডুগি গাছ\nগাছটি মাঝারি অাকারের চিরসবুজ দেখতে, ফল দেখতে একবারে কাচাঁ বেলের মতো।এদের হালকা সবুজ পাতা উপবৃত্তাকার, মাথার দিকে গোলাকার অার গোড়ার দিকে সুচালো, পাতা একেবারে জেঁকে থাকে কান্ডের সঙ্গে, এক সাথে পাঁচ-ছয়টি পাতা করে জোষ্ট হয়ে থাকে এই গাছের পাতা। ফুল হয় কাণ্ডে ফেঁটে বের হয় তার পর ফুল থেকে ফল।ফল পাকতে সময় লাগে প্রায় সাত মাস, পাকা ফলের ভেতর কলোরঙ্গা ছাইয়ের মতো কিছু উপাদান ছাড়া কিছুই পাওয়া যায় না।গ্রীষ্মের শেষে বা জ্যৈষ্ঠ মাসে এ গাছে ফুল ফোটে, জানুয়ারি- সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত গাছে ফুল ফল দেখা মিলে।",
"কাজু বাদাম\nচারা রোপণের পর গাছের বয়স তিন বছর হলে প্রথম ফুল এবং ফল আসে। নভেম্বর থেকে জানুয়ারি ফুল ফোটার সময়। এপ্রিল থেকে জুন (বৈশাখ-আষাঢ় মাস ) মাস কাজু বাদাম সংগ্রহকাল। গাছ থেকে সুস্থ ফল সংগ্রহ করে খোষ ছাড়িয়ে বাদাম সংগ্রহ করে তারপর ভালোভাবে রোদে শুকিয়ে ভেজে প্যাকেট-জাত করা হয়।\nসাধারণত একটি গাছ থেকে ৫০-৬০ কেজি ফলন পাওয়া যায়। ১ কেজি ফল প্রক্রিয়াজাত করে তা থেকে গড়ে ২৫০ গ্রাম কাজু বাদাম পাওয়া যায়। জাতভেদে ফলনের তারতম্য হয়ে থাকে।",
"কাজু বাদাম\nবীজ এবং কলম উভয় পদ্ধতিতেই কাজু বাদামের বংশ বিস্তার করা যায়। কলমের মধ্যে গুটি কলম, জোড় কলম, চোখ কলম ইত্যাদি প্রধান। কাজু বাদাম গাছ ৬০-৭০ বছর পর্যন্ত বাঁচে এবং ৫০-৬০ বছর পর্যন্ত ফলন পাওয়া যায়। বীজ থেকে পলি ব্যাগে চারা তৈরি করে কিংবা কলম প্রস্তুত করে জমিতে রোপণ করতে হবে। চারা রোপণের আগে ৭-৮ মিটার দূরত্ব বজায় রেখে ১ ঘনমিটার আয়তনের গর্ত তৈরি করতে হবে। গর্তে সবুজ সার এবং পরিমাণমত ইউরিয়া ও টিএসপি সার মাটির সঙ্গে ভালোভাবে মিশিয়ে ১৫ দিন পর চারা লাগাতে হবে। চারা গজালে একটি সতেজ চারা রেখে বাকি চারা তুলে ফেলতে হয়। বীজের পরিবর্তে চারা তৈরি করে নিয়েও রোপণ করা যায়। হেক্টর প্রতি প্রয়োজনীয় চারার সংখ্যা ২৪৫-৩৩৫ টি।",
"খেজুর\nকচি খেজুর পাতা সব্জী হিসেবে রান্না করে খাওয়া যায়। এছাড়াও, খেজুরের ফুলও খাবার উপযোগী। সনাতনী ধাঁচে স্ত্রী ফুল ৩০০-৪০০ গ্রাম ওজনে বিক্রয় করা হয়। ফুলের কুঁড়ি দিয়ে সালাদ কিংবা শুকনো মাছ বা শুঁটকী দিয়ে চাটনী তৈরী করে রুটির সাহায্যে খাওয়া হয়। খেজুরে বিশাল পরিমাণে পুষ্টিমান রয়েছে। পটাসিয়াম উপাদান রোগীর পথ্যের জন্যে বিশাল উপযোগী ও এর ক্ষেত্র হিসেবে খেজুর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পাকা খেজুরে প্রায় ৮০% চিনিজাতীয় উপাদান রয়েছে। বাদ-বাকী অংশে খনিজ সমৃদ্ধ বোরন, কোবাল্ট, ফ্লুরিন, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, সেলেনিয়াম এবং জিঙ্কের ন্যায় গুরুত্বপূর্ণ খাদ্য উপাদান রয়েছে।",
"খেজুর\nসুদীর্ঘকাল থেকে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে প্রধানতঃ মধ্যপ্রাচ্য ও দক্ষিণ এশিয়ার কিয়দাংশে জনসাধারণের কাছে খেজুর প্রধান উপাদেয় খাদ্য হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। তবে, খেজুরের চাষাবাদ কিংবা খেজুর গাছের উৎপত্তি সম্বন্ধে সঠিক কোন তথ্য জানা যায়নি। ধারণা করা হয় যে, পারস্য উপসাগরের তীরবর্তী দেশগুলোয় সর্বপ্রথম এর চাষাবাদ হয়েছিল। সম্ভবতঃ প্রাচীনকাল থেকেই মেসোপটেমিয়া থেকে প্রাগৈতিহাসিক মিশরের অধিবাসীরা খ্রিস্ট-পূর্ব ৪০০০ বছর থেকে এ গাছের গুণাগুন সম্পর্কে অবগত ছিল। প্রাচীন মিশরীয়রা এর ফল থেকে মদজাতীয় পানীয় প্রস্তুত করে ফসলের সময় তা পান করতো। খ্রিস্ট-পূর্ব ৬০০০ বছর আগেকার সময়ে প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনে দেখা যায় যে, পূর্বাঞ্চলীয় আরবেও এর চাষাবাদ হতো।",
"খেজুর\nবাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, উত্তর আফ্রিকা, ঘানা, আইভরীকোস্টে খেজুর গাছের অংশ কেটে সুমিষ্ট রস বের করা হয়, যা খেজুরের রস নামে পরিচিত। রসকে পরবর্তীতে গুড়ে অথবা নেশাজাতীয় পানীয়ে রূপান্তরিত করা হয়। উত্তর আফ্রিকায় এ প্রক্রিয়াকে \"লাগবি\" বলা হয়। রস আহরণের জন্যে অনেক সময়ের প্রয়োজন যা তাপমাত্রার উপর নির্ভরশীল। গাছ কেটে রস আহরণের জন্যে দক্ষতার প্রয়োজন নতুবা খেজুর গাছ মারা যাবে।",
"খেজুর\nখেজুর (); () এক ধরনের তালজাতীয় শাখাবিহীন বৃক্ষ। এর বৈজ্ঞানিক নাম ফিনিক্স ড্যাকটিলিফেরা (\"Phoenix dactylifera\")। মানব সভ্যতার ইতিহাসে সুমিষ্ট ফল হিসেবে এর গ্রহণযোগ্যতা পাওয়ায় অনেক বছর পূর্ব থেকেই এর চাষাবাদ হয়ে আসছে। এ গাছটি প্রধানতঃ মরু এলাকায় ভাল জন্মে। খেজুর গাছের ফলকে খেজুররূপে আখ্যায়িত করা হয়। মাঝারি আকারের গাছ হিসেবে খেজুর গাছের উচ্চতা গড়পড়তা ১৫ মিটার থেকে ২৫ মিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে। এর লম্বা পাতা রয়েছে যা পাখির পালকের আকৃতিবিশিষ্ট। দৈর্ঘ্যে পাতাগুলো ৩ থেকে ৫ মিটার পর্যন্ত হয়। পাতায় দৃশ্যমান পত্রদণ্ড রয়েছে। এক বা একাধিক বৃক্ষ কাণ্ড রয়েছে যা একটিমাত্র শাখা থেকে এসেছে। যা আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (স:) এর প্রিয় খাবার",
"কাউ\nমাঝারি আকৃতির চিরসবুজ এ গাছ কিছুটা কালো বর্ণের হয়। নিচের দিকে ডালপালা কম থাকলেও উপরটা নিশ্ছিদ্র পাতার সনি্নবিষ্ট ঝুপড়িতে ঘেরা। গাছে ফুল ধরে ডিসেম্বর-জানুয়ারি মাসে। আর ফল পাকে জুন-জুলাই মাসে। ফল গোলাকার, অনেকটা টেবিল টেনিস আকৃতির কিন্তু খাঁজযুক্ত। কাঁচা অবস্থায় সবুজ এ ফল পাকাকে হলুদ বা কমলা বর্ণ ধারণ করে। ফলের ভিতরে চার-পাঁচটি দানা থাকে। ফল পাকার পর এই দানা চুষে খেতে হয়। বীজযুক্ত এসব দানা রসালো ও মুখরোচক। ফল হিসেবে সরাসরি খাওয়া ছাড়াও জ্যাম-জেলি করেও সংরক্ষণ করা যায়। পুষ্টিগুণে ভরা এ ফল সর্দিজ্বর ও ঠা-া প্রশমনে বিশেষ কার্যকর। এ ছাড়া এটি অরুচি দূর করে। এই গাছের কষ রং ও বার্নিশ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। উপকারী এই ফলের ইংরেজি নাম Cowa আর বৈজ্ঞানিক নাম Garcinia cowa. সারাদেশে অল্পবিস্তর কাউফলের দেখা মেলে। তবে সিলেট, মৌলভী বাজার, খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে কাউফলের দেখা মেলে বেশি। পিরোজপুর ও বাগেরহাট অঞ্চলেও এ ফল জন্মে। অনেক গৃহস্থ বাড়ির লোকজন শখ করেও দুই একটি গাছ লাগায়। ফলে উপকূলীয় অঞ্চলে নার্সারীতে কাউফলের চারা উৎপাদনও করা হয়। তবে এর বাণিজ্যিক আবাদ নেই। কাউফলের বেশ চাহিদা রয়েছে বাজারে। পাকা কাউফল কেজি প্রতি ৭০-৮০ টাকা দরে বিক্রি হয়।"
] | 16 |
কলিকাতা পৌরসংস্থার বর্তমান (২০১৯) মহানাগরিক কে ? | [
"কলকাতার মহানাগরিক\nমহানাগরিক হচ্ছেন কলকাতা পৌরসংস্থার মেয়র। মহানাগরিকের নির্দেশেই কলকাতার পৌর প্রশাসনের যাবতীয় কার্য সম্পাদন করা হয়ে থাকে। প্রত্যেক পৌরনির্বাচনের পর পৌরসংস্থার প্রথম অধিবেশনে নির্বাচিত সদস্যদের মধ্য থেকে একজন পাঁচ বছরের জন্য মহানাগরিক নির্বাচিত হন। ইনি মেয়র-পরিষদের সভায় পৌরহিত্য করেন এবং মুখ্য রাজনৈতিক পরিচালক হিসেবে মেয়র-পারিষদদের দফতর ও ক্ষমতা বণ্টন করে দেন। কলকাতার বর্তমান মহানাগরিক হলেন ফিরহাদ হাকিম।",
"কলকাতা পৌরসংস্থা\nবর্তমান আইন অনুসারে কলকাতা পৌরসংস্থা, মেয়র-ইন-কাউন্সিল ও মেয়র বা মহানাগরিক – এই তিনটি অংশ কলকাতা পৌরপ্রশাসনের কর্তৃত্ব ভোগ করেন।কর্পোরেশনের সভা পরিচালনার জন্য কাউন্সিলদের মধ্যে থেকে একজন চেয়ারম্যান নিযুক্ত হন। তাঁর ভূমিকা হয় আইনসভার স্পিকারের মতোই। পৌরসংস্থার প্রথম অধিবেশনে নির্বাচিত সদস্যরা তাঁদের মধ্যে থেকে একজনকে মহানাগরিক নির্বাচন করেন। মহানাগরিক উপমহানাগরিক বা ডেপুটি মেয়রকে নির্বাচিত করেন।কলকাতা পৌরসংস্থাকে কাজের সুবিধার জন্য মোট ১৫টি বরোতে ভাগ করা হয়েছে। প্রতিটি বরোয় রয়েছে কর্পোরেশন নির্ধারিত সংখ্যক ওয়ার্ড। কলকাতায় মোট ১৪১টি ওয়ার্ড রয়েছে। এই ওয়ার্ডগুলি কাউন্সিলরদের নির্বাচনী ক্ষেত্র রূপে বিবেচিত হয়। ৭৪তম সংবিধান সংশোধনী আইন মোতাবেক পৌরসংস্থা ওয়ার্ড কমিটি গঠনেও সক্ষম।",
"শোভন চট্টোপাধ্যায়\nশোভন চট্টোপাধ্যায় (জন্ম ১৯৬৪) একজন ভারতীয় বাঙালি রাজনীতিবিদ। তিনি সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্য এবং কলকাতার বর্তমান মহানাগরিক। কলকাতা পৌরসংস্থার ২০০০-২০০৫ তৃণমূল বোর্ডে তিনি মেয়র পারিষদ (জল) ছিলেন। শহরের দক্ষিণ শহরতলিতে অবস্থিত বেহালার ১৩১ নং ওয়ার্ড থেকে তিনি নির্বাচিত হয়েছেন। শোভন চট্টোপাধ্যায় ১৯৮৫ সাল থেকে একটানা কলকাতা পৌরসংস্থার পৌরপিতার কার্যভার সামলাচ্ছেন।"
] | [
"কলিকাতা জাতীয় আয়ুর্বিজ্ঞান বিদ্যামন্দির\n১৯২৫ খৃষ্টাব্দে দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাস কলকাতা পৌরসংস্থার মহানাগরিক থাকার সময়ে ন্যাশনাল মেডিক্যাল ইনস্টিটিউটের হাসপাতাল নির্মাণের জন্য ২৪, গোরাচাঁদ রোডের এগারো বিঘা জমি নিরান্নবই বছরের জন্য লীজ দেন। ১৯২৭ খৃষ্টাব্দের ২০শে ফেব্রুয়ারী কলকাতা পৌরসংস্থার তৎকালীন মহানাগরিক দেশপ্রিয় যতীন্দ্রমোহন সেনগুপ্ত ১৫০ শয্যা বিশিষ্ট তিন তলা হাসপাতাল ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন এবং হাসপাতালের নাম রাখা হয় চিত্তরঞ্জন হাসপাতাল। এর প্রথম তলায় প্রশাসনিক কার্যালয়, দ্বিতীয় তলায় অন্তর্বিভাগ এবং তৃতীয় তলায় চিকিৎসক ও সেবিকাদের বাসস্থান তৈরী হয়।",
"কলকাতার মহানাগরিক\n১৯২৩ সালে রাষ্ট্রগুরু সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যে ক্যালকাটা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন আইন পাস হয়। এই আইনবলে কলকাতার পৌরপ্রশাসনের গণতন্ত্রীকরণ এবং পৌরসংস্থার উপর সরকারি নিয়ন্ত্রণের পরিমাণ হ্রাস করা হয়। ১৯২৪ সালে চিত্তরঞ্জন দাশ কলকাতা পৌরসংস্থার প্রথম মেয়র নির্বাচিত হন। ১৯২৪ সাল থেকে ১৯৪৮ সাল পর্যন্ত মোট চব্বিশ জন কলকাতার মেয়র হয়েছিলেন। ১৯২৩ সালের আইন অনুযায়ী কলকাতার সর্বশেষ মেয়র ছিলেন সুধীরচন্দ্র রায়চৌধুরী। ১৯৪৮ সালের মার্চ থেকে ১৯৫২ সালের ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত কলকাতার মেয়র পদটির কোনো অস্তিত্বই ছিল না। ১৯৫১ সালে নতুন করে কলকাতা পৌরসংস্থা আইন পাস হলে ১৯৫২ সালে নির্মলচন্দ্র চন্দ্র উক্ত আইন অনুযাইয়ী প্রথম মহানাগরিক নির্বাচিত হন। ১৯৫২ সাল থেকে ১৯৭২ সাল পর্যন্ত মোট বারো জন কলকাতার মহানাগরিক পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন; এঁদের মধ্যে আটজনই এক বছরের জন্য মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন। এই আইন মোতাবেক কলকাতার শেষ মহানাগরিক হলেন শ্যামসুন্দর গুপ্ত। ১৯৭২ সালের ২২ মার্চ থেকে ১৯৮৫ সালের অগস্ট পর্যন্ত পুনরায় কলকাতার মহানাগরিকের পদটি অকার্যকর করে রাখা হয়। কলকাতা পৌরসংস্থা আইন, ১৯৮০ কার্যকর হয় ১৯৮৪ সালের ৪ জানুয়ারি। এই আইন অনুযায়ী, কলকাতার মহানাগরিক পদের মেয়াদ এক বছর থেকে বাড়িয়ে পাঁচ বছর করা হয়। এই আইন অনুযায়ী কলকাতার প্রথম মহানাগরিক হন কমল কুমার বসু। ১৯৮৫ সালে বর্তমান কাল পর্যন্ত কলকাতায় মোট চার জন মেয়র পদে অধিষ্ঠিত হয়েছেন।",
"কলকাতা পৌরসংস্থা\nকলকাতা পৌরসংস্থা (ইংরেজি: Kolkata Municipal Corporation, \"কলকাতা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন\"; (পুরনো নাম: কলিকাতা পৌরসংস্থা; ইংরেজি: Calcutta Municipal Corporation, \"ক্যালকাটা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন\") হল পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতা শহরের স্থানীয় স্বায়ত্ত্বশাসন সংস্থা। এটি একটি বিধিবদ্ধ সরকারি সংস্থা। কলকাতা শহরের ১৮৮ বর্গ কিলোমিটার অঞ্চলের পুর পরিষেবা দেওয়া ও নগরাঞ্চলের উন্নয়ন কলকাতা পৌরসংস্থার প্রাথমিক দায়িত্ব। পুরসভার নেতৃত্ব দেন মহানাগরিক (মেয়র)।",
"হাওড়া পৌরসংস্থা\nহাওড়া পৌরসংস্থা (পূর্বতন হাওড়া পুরসভা) হল ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের হাওড়া জেলার সদর হাওড়া শহরের পৌর পরিকাঠামো ও স্বায়ত্তশাসন সংস্থা। হাওড়া পৌরসংস্থার অন্তর্ভুক্ত এলাকার আয়তন ১৪০ বর্গকিলোমিটার। এই পৌরসংস্থার বর্তমান মহানাগরিক রথীন চক্রবর্তী। ১৮৬২ সালে কলকাতার যমজ শহর হাওড়ায় একটি পুরসভা গঠিত হয়। ১৯৮০ সালে হাওড়া পুরসভা পৌরসংস্থার মর্যাদা পায়।",
"কলকাতা পৌরসংস্থা\nভারতীয় জাতীয়তাবাদী নেতা সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে ১৯২২ সালে গণতান্ত্রিক সায়ত্ত্বশাসন সংস্থা হিসেবে কলকাতা পৌরসংস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৪৭ সালে ভারত স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৫১ ও ১৯৫৬ সালে দুই বার কর্পোরেশন আইন সংশোধন করা হয়েছিল। বর্তমান পৌরসংস্থাটি ১৯৮০ সালের সংশোধিত পৌর আইনের ভিত্তিতে পরিচালিত হয়। শোভন চট্টোপাধ্যায় কলকাতা পৌরসংস্থার বর্তমান মহানাগরিক।",
"শশী পাঁজা\n২০১০ সালে ড. শশী পাঁজা কলকাতা পৌরসংস্থার একজন পৌর-প্রতিনিধি নির্বাচিত হন। সেই সময় তিনি মহানাগরিক পরিষদে শিক্ষাবিভাগের দায়িত্ব পান।",
"বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য্য\nবিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য্য একজন ভারতীয় রাজনীতিবিদ। ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কলকাতা পৌরসংস্থার মহানাগরিক হিসেবে তিনি ২০০৫ থেকে ২০১০ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন।"
] | 46 |
পৃথিবীর সবচেয়ে প্রাচীন সভ্যতার নাম কী ? | [
"সুমের\nসুমের() যা শুমের, (মিশরীয় সাঙ্গার, বাইবেলে শিনার নামে পরিচিত, স্থানীয় উচ্চারণ কি-এন-গির) মেসোপটেমিয়ার দক্ষিণাংশের এক প্রাচীন সভ্যতা। এর অবস্থান ছিল আধুনিক রাষ্ট্র ইরাক এর দক্ষিণ-পশ্চিমাংশে। সুমের সভ্যতার অস্তিত্ব ছিল খ্রীস্টপূর্ব ৪ হাজার বছর হতে খ্রীষ্টপূর্ব ৩ হাজার বছরের মধ্যে। ব্যাবিলন সভ্যতার উত্থানের সাথে সাথে সুমেরের পতন ঘটে। সুমের সভ্যতাকে পৃথিবীর প্রথম সংগঠিত সভ্যতা হিসাবে গণ্য করা হয়।",
"প্রাচীন ভারত\nধারাবাহিক অস্তিত্বের দিক থেকে ভারতের সভ্যতা বিশ্বের সবচেয়ে বেশী বয়সী সভ্যতা। যদি আমরা লিখন পদ্ধতি, ধাতুর কাজ, ও অ-কৃষিভিত্তিক নাগরিক বসতি স্থাপনকে সভ্যতার ন্যূনতম সংজ্ঞা হিসেবে বিবেচনা করি, তবে সবচেয়ে প্রাচীন সভ্যতা হল মেসোপটেমিয়ার সভ্যতা (খ্রিস্টপূর্ব ৪র্থ সহস্রাব্দ), এবং প্রায় কাছাকাছি সময়ের মিশরীয় সভ্যতা। খ্রিস্টপূর্ব ৩য় সহস্রাব্দের মধ্যেই সিন্ধু নদের উপত্যকায় এরকম আদি সভ্যতার উন্মেষ ঘটে। চীনে তা ঘটে খ্রিস্টপূর্ব ২য় সহস্রাব্দের সময়। কিন্তু মিশরীয় ও মেসোপটেমীয় সভ্যতাগুলি রোমান সাম্রাজ্যের সময়ে বিলুপ্ত হয়ে যায় এবং পরবর্তীতে এই এলাকাগুলি ইসলামের অধীনে আসে। ফলে এলাকাগুলির বর্তমান সভ্যতার সাথে প্রাচীন সুমেরীয় বা মিশরীয় সভ্যতার কোন মিল নেই। অন্যদিকে ভারতীয় সভ্যতা প্রাচীন কাল থেকে আজ পর্যন্ত মোটামুটি অবিকৃত রয়ে গেছে।"
] | [
"বিশ্বের ইতিহাস\nতাইগ্রিস ও ইউফ্রেতিস নদীর মধ্যবর্তী উর্বর অববাহিকাতে (যা বর্তমানে ইরাক নামে পরিচিত) বিশ্বের সবচেয়ে প্রাচীন সভ্যতাগুলির একটি গড়ে উঠেছিল। এই জায়গাটি পরবর্তীতে মেসোপটেমিয়া নামে পরিচিতি লাভ করে, যার অর্থ “দুই নদীর মধ্যবর্তী ভূমি”। খ্রিস্টপূর্ব ৫০০০ অব্দে সুমেরীয়রা দক্ষিণ মেসোপটেমিয়াতে বসতি স্থাপন করে।",
"আন্দীয় সভ্যতা\n\"মূল নিবন্ধ\" - কারাল সভ্যতা\n\"কারাল সভ্যতা\" বা \"কারাল-সুপে সভ্যতা\" এখনও পর্যন্ত জানা সবচেয়ে প্রাচীন আন্দীয় সভ্যতা। এই সভ্যতা বহু ক্ষেত্রে \"নর্তে চিকো সভ্যতা\" নামেও পরিচিত। প্রথম নামটি এসেছে পেরুর সুপে উপত্যকায় অবস্থিত কারাল অঞ্চলের নাম থেকে। এইস্থানেই এই সভ্যতার সবচেয়ে বড় ও গুরুত্বপূর্ণ স্তূপটি আবিস্কৃত হয়েছে। তাছাড়া এই অঞ্চলটি, যতদূর বোঝা গেছে, এই সভ্যতায় একটি অত্যন্ত পবিত্র স্থান বলেও বিবেচিত হত। অন্যদিকে পেরুর এই অঞ্চলকে কথ্য ভাষায় বর্তমানে \"নর্তে চিকো\" (স্পেনীয়, অর্থ \"উত্তরের ছোট্ট স্থান\") বলা হয়। তার থেকেই এই দ্বিতীয় নামটির সৃষ্টি। খ্রিস্টজন্মের ৯০০০ বছর আগেই এই সভ্যতার সূচনা হয়। তবে খ্রিস্টপূর্ব ৩০০০ - ১৮০০ অব্দকে এই সভ্যতার সবচেয়ে বেশি বিকাশের সময় বলে মনে করা হয়। উত্তর-মধ্য পেরুর সমুদ্র উপকূলে এই সভ্যতার অন্তত ৩০টি কেন্দ্র খুঁজে পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে কারাল, আসপেরো, উয়ারিকাঙ্গা, কাবালেত, প্রভৃতি স্থলে খননকার্যের মাধ্যমে এই সভ্যতার প্রচূর নিদর্শন খুঁজে পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে রয়েছে পাথরে তৈরি সম্ভাব্য বড় বড় মন্দিরের উঁচু প্ল্যাটফর্ম, বসবাসের জন্য তৈরি বাড়ির ধ্বংসস্তূপ, বেশ কিছু ঢিবি, প্ল্যাটফর্মের উপর খাওয়াদাওয়ার চিহ্ন, হাড়ের তৈরি বেশ কিছু বাঁশি, প্রভৃতি। তবে নব্যপ্রস্তর যুগের এই সভ্যতায় ধাতুর ব্যবহার জানা ছিল না। এমনকী মৃৎপাত্র তৈরি বা ব্যবহারের কোনও নিদর্শনও এখানে খুঁজে পাওয়া যায়নি। কিন্তু প্রত্নতাত্ত্বিক খননকার্য থেকে এখানে যথেষ্ট জটিল একটি রাজনৈতিক ও সামাজিক ক্রিয়াকলাপের অস্তিত্ব পরিষ্কার বোঝা যায়। কালের বিচারে এই সভ্যতার সর্বোত্তম বিকাশের সময়টি ছিল পুরনো পৃথিবীর সুমের সভ্যতার থেকে হাজার বছর পরে, কিন্তু মিশরে যে সময়ে পিরামিডগুলি নির্মাণ হয়, তার সমসাময়িক। পশ্চিম গোলার্ধের অপর প্রাচীন সভ্যতা কেন্দ্র \"মেসোআমেরিকার\" থেকে এই সভ্যতা অন্তত ২০০০ বছর প্রাচীন।",
"কারাল সভ্যতা\nকারাল সভ্যতা বা কারাল-সুপে সভ্যতা এখনও পর্যন্ত জানা সবচেয়ে প্রাচীন আন্দীয় সভ্যতা। দক্ষিণ আমেরিকার সুপ্রাচীন এই সভ্যতা বহু ক্ষেত্রে নর্তে চিকো সভ্যতা নামেও পরিচিত। প্রথম নামটি এসেছে পেরুর সুপে উপত্যকায় অবস্থিত কারাল অঞ্চলের নাম থেকে। এইস্থানেই এই সভ্যতার সবচেয়ে বড় ও গুরুত্বপূর্ণ স্তূপটি আবিস্কৃত হয়েছে। তাছাড়া এই অঞ্চলটি, যতদূর বোঝা গেছে, এই সভ্যতায় একটি অত্যন্ত পবিত্র স্থান বলেও বিবেচিত হত। অন্যদিকে পেরুর এই অঞ্চলকে কথ্য ভাষায় বর্তমানে \"নর্তে চিকো\" (স্পেনীয়, অর্থ \"উত্তরের ছোট্ট স্থান\") বলা হয়। তার থেকেই এই দ্বিতীয় নামটির সৃষ্টি। খ্রিস্টজন্মের ৯০০০ বছর আগেই এই সভ্যতার সূচনা হয়। তবে খ্রিস্টপূর্ব ৩০০০ - ১৮০০ অব্দকে এই সভ্যতার সবচেয়ে বেশি বিকাশের সময় বলে মনে করা হয়। উত্তর-মধ্য পেরুর সমুদ্র উপকূলে এই সভ্যতার অন্তত ৩০টি কেন্দ্র খুঁজে পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে কারাল, আসপেরো, উয়ারিকাঙ্গা, কাবালেত, প্রভৃতি স্থলে খননকার্যের মাধ্যমে এই সভ্যতার প্রচূর নিদর্শন খুঁজে পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে রয়েছে পাথরে তৈরি সম্ভাব্য বড় বড় মন্দিরের উঁচু প্ল্যাটফর্ম, বসবাসের জন্য তৈরি বাড়ির ধ্বংসস্তূপ, বেশ কিছু ঢিবি, প্ল্যাটফর্মের উপর খাওয়াদাওয়ার চিহ্ন, হাড়ের তৈরি বেশ কিছু বাঁশি, প্রভৃতি। তবে নব্যপ্রস্তর যুগের এই সভ্যতায় ধাতুর ব্যবহার জানা ছিল না। এমনকী মৃৎপাত্র তৈরি বা ব্যবহারের কোনও নিদর্শনও এখানে খুঁজে পাওয়া যায়নি। কিন্তু প্রত্নতাত্ত্বিক খননকার্য থেকে এখানে যথেষ্ট জটিল একটি রাজনৈতিক ও সামাজিক ক্রিয়াকলাপের অস্তিত্ব পরিষ্কার বোঝা যায়। কালের বিচারে এই সভ্যতার সর্বোত্তম বিকাশের সময়টি ছিল পুরনো পৃথিবীর সুমের সভ্যতার থেকে হাজার বছর পরে, কিন্তু মিশরে যে সময়ে পিরামিডগুলি নির্মাণ হয়, তার সমসাময়িক। পশ্চিম গোলার্ধের অপর প্রাচীন সভ্যতা কেন্দ্র \"মেসোআমেরিকার\" থেকে এই সভ্যতা অন্তত ২০০০ বছর প্রাচীন।",
"প্রাচীন বিশ্বের সপ্তাশ্চর্য\nপৃথিবীর সপ্তাশ্চর্য একটি জনপ্রিয় তালিকার নাম যাতে সমসাময়িক পৃথীবীর আশ্চর্যজনক মনুষ্য নির্মিত স্থাপনাসমূহের নাম স্থান পায়। এই স্থাপনাসমূহকে অবশ্যই হতে হয় ঐতিহাসিক ও ঐতিহ্যগত গুরুত্ব সম্পন্ন। প্রাচীনকালে হেলেনীয় সভ্যতার পর্যটকেরা প্রথম এ ধরনের তালিকা প্রকাশ করেছিল। সেই থেকে প্রতিটি যুগেই এই তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। সর্বশেষে ২০০৭ সালের ৭ জুলাই তারিখে একটি তালিকা প্রকাশিত হয়।",
"বৈদিক সভ্যতা\nবৈদিক সভ্যতা পৃথিবীর প্রাচীন সভ্যতা গুলোর মধ্যে অন্যতম। সুমেরীয় সভ্যতার পরেই বৈদিক সভ্যতার বিকাশ হয়। সেই হিসাবে বৈদিক সভ্যতার উদ্ভব মিশরীয় সভ্যতা এবং রোমান ও গ্রিক সভ্যতার কয়েক হাজার বছর আগে । বৈদিক সভ্যতার সুচনা আজ থেকে প্রায় ৫ হাজার বছর আগে। তবে সব চাইতে আকর্ষনীয় ব্যাপার হল বৈদিক সভ্যতার নিদর্শন, বিশেষতঃ সাহিত্য ও ধর্মী বিষয়াদি আজও খুজে পাওয়া যাবে। বর্তমানে সনাতন ধর্ম বা হিন্দু ধর্মের উৎপত্তি বৈদিক সভ্যতা থেকে।",
"সিরিয়ার ইতিহাস\nপ্রত্নতাত্ত্বিকেরা দেখিয়েছেন যে সিরিয়ান সভ্যতা পৃথিবীর সবচেয়ে প্রাচীন সভ্যতাগুলোর একটি। সিরিয়া উর্বর চন্দ্রকলা নামে পরিচিত অঞ্চলের অংশ। এটি খ্রিস্টপূর্ব ১০০০০ অব্দ থেকে নব্যপ্রস্তর (পি.পি.এন.এ) সংস্কৃতির একটি কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠে। পৃথিবীতে চাষাবাদ ও গবাদি পশু পালন এখানেই সর্বপ্রথম দেখা যায়। মুরেইবেত সংস্কৃতির চতুষ্কোণ ঘর দ্বারা নব্যপ্রস্তর যুগ (পি.পি.এন.বি) চিহ্নিত হয়। নব্যপ্রস্তর যুগের শুরুতে মানুষ পাথর, জিপসাম ও পোড়া চুন দিয়ে তৈরী পাত্র ব্যবহার করত। আনাতোলিয়ার অবসিডিয়ান যন্ত্রের অবশেষ প্রাচীন ব্যবসায়িক সম্পর্কের প্রমাণ দেয়। নব্যপ্রস্তর যুগে এবং ব্রোঞ্জ যুগে হামোকার ও ইমার শহর দুটির প্রচুর উন্নতি হয়।",
"গ্রহ\nপশ্চিমা বিশ্বে নিকট-মহাবিশ্বের পরিমণ্ডলে তথা সৌর জগতে অবস্থিত এই গ্রহগুলোর নামকরণ করা হয়েছে গ্রিকো-রোমান দেবতাদের নামে। গ্রহের এই নামগুলো গ্রিকরাই রেখেছিল। অবশ্য দেবতাদের নামে গ্রহের নামকরণের সূচনা করেছিল প্রাচীন পশ্চিমের সুমেরীয় সভ্যতার মানুষেরা, প্রায় ৩০০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে বর্তমানে ইরাকে এই সভ্যতার উৎপত্তি ঘটেছিল। পরবর্তীতে মেসোপটেমিয়া সভ্যতায় এই নামগুলো গৃহীত হয়েছিল যদিও নামগুলোকে তারা উচ্চারণের সুবিধার্থে নিজেদের মত করে নিয়েছিল। উদাহরণস্বরুপ: ব্যাবিলনীয়দের নামকরণ পদ্ধতির উল্লেখ করা যায়। গ্রিকরা তাদের জ্যোতির্বিজ্ঞান এবং রাশিচক্রের মূল নামকরণগুলো এই ব্যাবিলনীয়দের কাছ থেকেই ধার করেছিল। খ্রিস্টপূর্ব ৬০০ অব্দে গ্রিসে ব্যাবিলনিয়ার তত্ত্ব ও নামগুলোর ব্যবহার শুরু হয়। গ্রিকরা ব্যাবিলনীয় নামের তালিকায় অনেকগুলো নামের পরিবর্তে তাদের নিজেদের দেবতাদের নাম যোগ করে দিয়েছিল। অবশ্য নামের এই অনুবাদে অনেক সন্দেহ রয়ে যায়: যেমন, ব্যাবিলনিয়ার মতে একটি জ্যোতিষ্কের নাম ছিল তাদের যুদ্ধ দেবতা নেরগুল-এর নাম অনুসারে, গ্রিকরা এই জ্যোতিষ্কের নাম রাখে তাদের যুদ্ধ দেবতা এরেসের নামে। কিন্তু এরিস এবং নেরগুলের মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে; এরিস শুধু যুদ্ধ দেবতা ছিল, কিনবতু নেরগুল একইসাথে মৃত্যু এবং মহামারীর দেবতা ছিল।",
"হিন্দু পুরাণ\nবৈদিক স্তোত্রের স্রষ্টা ও প্রাচীন কালের মহান প্রাজ্ঞ ব্যক্তিরা হলেন ঋষি। এই দলের প্রধানের হলেন ‘সপ্তর্ষি’ বা সাতজন ঋষি, যাঁরা সপ্তর্ষিমণ্ডলের সাতটি তারা দ্বারা চিহ্নিত। এঁদের নাম – মরীচি, অত্রি, অঙ্গিরা, পুলস্ত্য, পুলহ, ক্রতু ও বশিষ্ঠ। অন্যান্য ঋষিরা হলেন ‘কশ্যপ’ ও ‘দক্ষ’, যাঁরা দেবতা ও মানুষের মিলনে জাত, ‘নারদ’, যিনি বীণার আবিষ্কর্তা এবং অন্যতম বৈষ্ণব (বিষ্ণুর ভক্ত), ‘বৃহস্পতি’ ও ‘শুক্র’, যাঁরা যথাক্রমে দেবতা আর অসুরদের গুরু, ‘অগস্ত্য’, যিনি দক্ষিণ ভারতে বৈদিক ধর্ম ও সংস্কৃতির প্রচার করেন। ‘পিতৃ’-রা হলেন পিতা বা পূর্বপুরুষের আত্মা, মৃত ব্যক্তিদের তর্পণের সাথে এরাই জড়িত।",
"আন্দীয় সভ্যতা\nপৃথিবীর দীর্ঘতম পর্বতমালা হল দক্ষিণ আমেরিকার আন্দিজ পর্বতমালা। এই পার্বত্য ভূভাগে পরস্পর সম্পর্কযুক্ত কয়েকটি প্রাচীন সভ্যতার উদ্ভব ঘটেছিল, যাদের মধ্যে কতগুলি হল অতি প্রাচীন। সম্মিলিতভাবে এসব সভ্যতাকেই মূলত আন্দীয় সভ্যতা বলা হয়ে থাকে। উত্তরে আজকের কলম্বিয়া থেকে দক্ষিণে আতাকামা মরুভূমি পর্যন্ত বিস্তৃত এক বিশাল ভূভাগে এই সভ্যতাগুলির বিকাশ ও বিস্তৃতির সাক্ষ্য পাওয়া যায়। বিশেষ করে আজকের পেরু ছিল এইসব প্রাচীন সভ্যতার বিকাশের কেন্দ্রভূমি। অবশ্য তার বাইরেও \"তিওয়ানাকু\", প্রভৃতি কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সভ্যতার অস্তিত্বর কথাও আমরা জানতে পারি। ইনকা সাম্রাজ্য ছিল পেরুর স্পেনীয় বিজয়ের পূর্বে এই অঞ্চলের প্রাচীন আমেরিন্ডিয়ান অধিবাসীদের শেষ স্বাধীন রাজনৈতিক অস্তিত্ব। এমনকী তাদের সাম্রাজ্যেও কিন্তু আমরা দেখতে পাই বহু জাতি, ভাষা ও সভ্যতার আলাদা আলাদা অস্তিত্ব বজায় ছিল। এরা যদিও সবাই ইনকাদের শাসনের অধীনেই ছিল, সকলের তাদের প্রতি সমান আনুগত্য ছিল না, সকলের সংস্কৃতিও একইরকম ছিল না। যেমন \"চিমু\"রা মুদ্রার ব্যবহার করতো, কিন্তু ইনকা সাম্রাজ্যে তার ব্যবহার ছিল না। সেখানে বিনিময় প্রথার মাধ্যমেই বাণিজ্য চলতো। আবার \"চাচাপোয়া\"রা ইনকাদের অধীনতা মানতে বাধ্য হলেও বাস্তবে তাদের প্রতি শত্রুভাবাপন্নই রয়ে গিয়েছিল। এই কারণেই স্পেনীয়দের সাথে তাদের লড়াই শুরু হলে চাচাপোয়া অভিজাতদের এক বড় অংশ ইনকাদের পরিবর্তে স্পেনীয়দেরই সাহায্য করে।"
] | 90 |
মূল কুরআন কোন ভাষায় লেখা / | [
"কুরআন\nমুসলমানদের মতে এটি আল্লাহর বাণী বা বক্তব্য, যা ইসলামের নবী ও রাসূল মুহাম্মাদের উপর আরবি ভাষায় অবতীর্ণ হয়। তাদের মতে এটি একটি মুজিজা বা অলৌকিক গ্রন্থ যা মানব জাতির পথনির্দেশক। মুসলমানদের বিশ্বাস, কুরআনে মানব জীবনের সকল সমস্যার সমাধান রয়েছে এবং এটি পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান।",
"কুরআন অনুবাদ\nকুরআন অনুবাদ করার কাজ সহজ নয়, অনেক আরব বক্তা নিশ্চিত করেন যে মূল আরবি ধর্মগ্রন্থেও কুরআন এর কিছু কথা বোঝা কঠিন। এটা যেকোন অনুবাদের আভ্যন্তরীন জটিলতার একটি অংশ, কারণ আরবি ও অন্যান্য সেমিটিক ভাষায় একটি শব্দে অনেক রকম অর্থ থাকতে পারে। তাই সবসময়ই এই ভাষায় লেখা কোন কিছু বুঝতে এবং অনুবাদ করতে মানব বিচারের বিষয়টি উপস্থিত থাকে। শাস্ত্রীয় আরবি ও আধুনিক আরবিতে একই শব্দের ব্যবহারে অনেক পরিবর্তন চলে আসায় এই ব্যাপারটি আরও কঠিন হয়ে গেছে। এর ফলে, কুরআন এর আয়াতগুলো স্থানীয় আরবি ভাষাভাষীর কাছে পরিষ্কার স্পষ্ট বলে মনে হলেও তারা আধুনিক শব্দভাণ্ডার দ্বারা অভ্যস্ত হয়ে যাওয়ায় সেই সব শব্দের দ্বারা কুরআনকে বুঝতে পারে না এবং তাদের জানা শব্দার্থগুলো কুরআন এর শব্দার্থগুলোর প্রতিনিধিত্ব করে না।",
"কুরআন অনুবাদ\nইসলামী ধর্মতত্ত্ব অনুসারে, কুরআন এর আবির্ভাব খুব নির্দিষ্টভাবে আরবি ভাষাতেই হয়েছে, এবং তাই কুরআনীয় আরবিতেই এর পাঠ করা উচিৎ। অন্য ভাষায় এটি অনুদিত হলে তা মানুষ দ্বারা রচিত হবে, এবং এরফলে মুসলিমদের মতে মূল আরবিতে লেখা গ্রন্থে যে পবিত্রতা ও অনন্যতা থাকে সেটা অনুদিত গ্রন্থে আর থাকবে না, কেননা এই অনুবাদগুলোতে সূক্ষ্মভাবে অর্থের পরিবর্তন ঘটে, তাই কুরআন এর অনুবাদকে অনুবাদ না বলে প্রায়ই \"ব্যাখ্যা\" বা \"অর্থের অনুবাদ\" বলা হয় (এই \"অর্থ\" বলতে কুরআন এর বিভিন্ন আয়াতের বিভিন্ন অর্থের সমাহারকে বোঝানো হয় যেখানে এই আলাদা আলাদা অর্থগুলো একে অপরের থেকে ভিন্ন হতে পারে, এবং অনুবাদগুলোর ক্ষেত্রে এই স্বীকারোক্তির উল্লেখ থাকে যে, এই তথাকঠিত অনুবাদ একটি সাম্ভাব্য ব্যাখ্যা মাত্র, এবং এটিকে মূল কুরআন এর পূর্ণাঙ্গ সমতুল্য হিসেবে দাবি করা হচ্ছে না)। যেমন পিকথাল তার অনুবাদকে \"দ্য কোরান\" (কুরআন) না লিখে \"দ্য মিনিং অফ দ্য গ্লোরিয়াস কোরান\" (মহার কুরআন এর অর্থ) লিখেছিলেন।"
] | [
"কুরআন অনুবাদ\nআধুনিক ভাষাগুলোয় কুরআনকে অনুবাদ করা ইসলামী ধর্মতত্ত্বে সবসময় সমস্যার সৃষ্টি করেছে। কারণ মুসলিমগণ কুরআনকে অলৌকিক এবং অননুকরণীয় বলে মনে করেন (\"i'jaz al-Qur'an\")। তারা বলেন কুরআন এর লেখাকে তার সত্যিকারের অবস্থা থেকে পরিবর্তিত করে অন্য ভাষায় লেখা উচিৎ নয়, অন্তত তার সাথে আরবি লেখা না যুক্ত করে প্রকাশ করা উচিৎ নয়। এছাড়া, একটি হিব্দ্রু বা আরমাইক শব্দের মত একটি আরবি শব্দের তার প্রসঙ্গের উপর ভিত্তি করে বিস্তৃত পরিসরের অর্থ থাকতে পারে। আধুনিক বিশ্লেষণী ইংরেজি, ল্যাতিন এবং রোমান্স ভাষাসমূহের সাথে তুলনা করে দেখা যায় এই বৈশিষ্ট্যটি সকল সেমিটিক ভাষাসমূহের বেলাতেই প্রযোজ্য। এর ফলে সেমিটিক ভাষাসমূহে রচিত কোন কিছুকে সঠিকভাবে অনুবাদ করা আরও কঠিন হয়ে যায়।",
"আধুনিক প্রমিত আরবি\nধ্রুপদী আরবি, যা কুরআনের আরবি নামেও পরিচিত, কুরআনে এবং ৭ম থেকে ৯ম শতাব্দীর উমাইয়া খিলাফত ও আব্বাসীয় খিলাফতের সময়কার অসংখ্য সাহিত্য গ্রন্থে ব্যবহৃত ভাষা।\nঅনেক মুসলমান কুরআনকে তার মূল ভাষায় পাঠ করার জন্য ধ্রুপদী আরবি অধ্যয়ন করেন।\nএটা লক্ষ্যনীয় যে ইসলামি যুগের শুরুর দিকে লিখিত ধ্রুপদী আরবিতে মৌলিক পরিবর্তন আসে।\nআবু আল-আসওয়াদ আল-দুয়ালী, আল-খলিল ইবনে আহমদ আল-ফারাহীদী এবং অন্যান্য পণ্ডিতগণ এই সময় একই রকম দেখতে বর্ণের মধ্যে পার্থক্য করার জন্য বিন্দু ব্যবহার এবং উচ্চারণ চিহ্নিত করার জন্য ধ্বনিনির্দেশক তাশকীল ব্যবহার করা শুরু করেছিলেন।\nধ্রুপদী আরবি প্রাচীন যুগে মধ্যপ্রাচ্য, উত্তর আফ্রিকা এবং আফ্রিকার অন্তরীপে লিঙ্গুয়া ফ্রাঙ্কা ছিল।",
"ধর্মগ্রন্থ\nকুরআন শরীফ (القرآن) মুসলমানদের নিকট পবিত্র ধর্মগ্রন্থ।\n“কুরান” বা “কুরআন” শব্দটি আরবী শব্দ, এই শব্দের উতপত্তি ও অর্থ নিয়ে বিশেষজ্ঞ আলেমদের মাঝে মতপার্থক্য আছে। কারো কারো মতে কুরান শব্দটি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রতি অবতীর্ন কিতাবের “আলাম” বা নির্ধারিত নাম, যেমন তাওরাত, ইঞ্জিল, যাবুর দ্বারা নির্ধারিত তিনটি পৃথক পৃথক কিতাব বুঝানো হয়ে থাকে, কুরান দ্বারাও ঠিক তেমনি একটি নির্ধারিত কিতাব বুঝানো হয়ে থাকে। এই হিসাবে শব্দটি –আরবী ব্যকরন রীতি অনুযায়ী- অন্য কোন উতস-শব্দ থেকে “মুশতাক” বা উদ্ভুত শব্দ নয়। ইমাম শাফী র. এর মত এটা। \nআবার অন্য আলেমের মত এই যে, কুরান শব্দটি তার উতস-শব্দ থেকে “মুশতাক” বা উদ্ভুত একটি শব্দ। যারা এই মত প্রকাশ করেন তারা আবার কুরানের উতস-মুল বা মুল শব্দ নির্ধারনে ভিন্ন ভিন্ন মত প্রদান করেছেনঃ কারো মতে কুরান শব্দটি আরবী “কারান” থেকে উদ্ভুত যার অর্থ যুক্ত করা, যেহেতু কুরানে বিভিন্ন আয়াত, সুরা একে অপরের সাথে যুক্ত তাই একে “কুরান” বলা হয়ে থাকে। আবার কারো মতে মুল শব্দ “কারান” নয়, বরং মুল শব্দ হচ্ছে “করায়া” যার অর্থ পড়া, এখানে আরবী ভাষার রীতি অনুযায়ি পড়া দ্বারা পঠিত গ্রন্থ বা কিতাবকে বুঝানো হয়েছে । কুরানের এই শেষোক্ত অর্থই বেশী পরিচিত -অর্থাৎ কুরানের শাব্দিক অর্থ “পঠিত কিতাব”। “কুরান আল্লাহর কালাম, যা তার রাসুলের উপর অবতীর্ন হয়েছে, যার অনুরুপ কুরান পেশ করতে সবাই অক্ষম, যার তেলাওয়াত ইবাতাদ, যা “মুতাওয়াতির” বা অকাট্যভাবে বর্নিত, যা মুসহাফে লিখিত, যার শুরু হয়েছে সুরা ফাতিহা দিয়ে আর শেষ হয়েছে সুরা নাসের মাধ্যমে”। ইসলামী ইতিহাস অনুসারে দীর্ঘ তেইশ বছর ধরে খণ্ড খণ্ড অংশে এটি ইসলামের নবী মুহাম্মাদের(সাঃ) নিকট অবতীর্ণ হয়। কুরআনে সর্বমোট ১১৪টি সূরা আছে। আয়াত বা পঙক্তি সংখ্যা ৬,২৩৬ টি বা ৬,৬৬৬ টি। এটি মূল আরবি ভাষায় অবর্তীর্ণ হয়। মুসলিম চিন্তাধারা অনুসারে কুরআন ধারাবাহিকভাবে অবর্তীর্ণ ধর্মীয় গ্রন্থগুলোর মধ্যে সর্বশেষ এবং গ্রন্থ অবতরণের এই ধারা ইসলামের প্রথম বাণীবাহক আদম থেকে শুরু হয়। কুরআনে অনেক ঐতিহাসিক ঘটনার উল্লেখ রয়েছে যার সাথে বাইবেলসহ অন্যান্য ধর্মীয়গ্রন্থের বেশ মিল রয়েছে, অবশ্য অমিলও কম নয়। তবে কুরআনে কোনও ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা নেই। ইসলামী ভাষ্যমতে কুরআন অপরিবর্তনীয় এবং এ সম্পর্কে মুসলিমরা কুরয়ানের যে আয়াতের কথা উল্লেখ করে থাকে তা হল:\nআরবি ব্যাকরণে \"কুরআন\" শব্দটি মাসদার তথা ক্রিয়াবাচক বিশেষ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এটি قرأ \"ক্বরা'আ\" ক্রিয়া পদ থেকে এসেছে যার অর্থ \"পাঠ করা\" বা \"আবৃত্তি করা\"। এই ক্রিয়াপদটিকেই কুরআন নামের মূল হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। এই শব্দটির মিটার বা \"মাসদার\" (الوزن) হচ্ছে غفران তথা \"গুফরান\"। এর অর্থ হচ্ছে অতিরিক্ত ভাব, অধ্যবসায় বা কর্ম সম্পাদনার মধ্যে একাগ্রতা। উদাহরণস্বরুপ, غفر নামক ক্রিয়ার অর্থ হচ্ছে \"ক্ষমা করা\"; কিন্তু এর আরেকটি মাসদার রয়েছে যার যা হলো غفران, এই মাসদারটি মূল অর্থের সাথে একত্রিত করলে দাঁড়ায় ক্ষমা করার কর্মে বিশেষ একাগ্রতা বা অতি তৎপর বা অতিরিক্ত ভাব। সেদিক থেকে কুরআন অর্থ কেবল পাঠ করা বা আবৃত্তি করা নয় বরং আরেকটি অর্থ হচ্ছে একাগ্র ভঙ্গীতে পাঠ বা আবৃত্তি করা। কুরআনের মধ্যেও এই অর্থেই কুরআন শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে। কুরআনের সূরা আল-কিয়ামাহ্ (৭৫ নং সূরা) ১৮ নং আয়াতে এই শব্দটি উল্লেখিত আছে:",
"কুরআন\nইসলামী ইতিহাস অনুসারে দীর্ঘ তেইশ বছর ধরে খণ্ড খণ্ড অংশে এটি ইসলামের নবী মুহাম্মাদের নিকট অবতীর্ণ হয়। ইসলামের অনুসারীরা কুরআনকে একটি পুর্ণাঙ্গ জীবন বিধান বলে বিশ্বাস করে। কুরআনে সর্বমোট ১১৪টি সূরা আছে। আয়াত বা পঙক্তি সংখ্যা ৬,২৩৬ টি। এটি মূল আরবি ভাষায় অবর্তীর্ণ হয়। মুসলিম চিন্তাধারা অনুসারে কুরআন ধারাবাহিকভাবে অবর্তীর্ণ ধর্মীয় গ্রন্থগুলোর মধ্যে সর্বশেষ এবং গ্রন্থ অবতরণের এই ধারা ইসলামের প্রথম বাণীবাহক আদম থেকে শুরু হয়। কুরআনে অনেক ঐতিহাসিক ঘটনার উল্লেখ রয়েছে যার সাথে বাইবেলসহ অন্যান্য ধর্মীয়গ্রন্থের বেশ মিল রয়েছে, অবশ্য অমিলও কম নয়। তবে কুরআনে কোনও ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা নেই। ইসলামী ভাষ্যমতে কুরআন অপরিবর্তনীয় এবং এ সম্পর্কে মুসলিমরা কুরআনের সূরা আল-হিজরের (১৫ নং সূরা), ৯ নং আয়াতের কথা উল্লেখ করে থাকে, এবং তা হল:",
"আল-আজহার মসজিদ\n১৯৩৩ খ্রিষ্টাব্দে মূল মিহরাব উন্মোচিত হয়। এর উপরে একটি অর্ধবৃত্তাকার গম্বুজ ও দুইপাশে মার্বেলের স্তম্ভ রয়েছে। মিহরাবে কুরআনের দুই সেট আয়াত উৎকীর্ণ ছিল যা এখনো অক্ষত রয়েছে। প্রথম সেটে সূরা আল মু'মিনূনের প্রথম তিন আয়াত রয়েছে:মুমিনগণ সফলকাম হয়ে গেছে – যারা নিজেদের নামাজে বিনয়-নম্র - যারা অনর্থক কথাবার্তায় নির্লিপ্তদ্বিতীয় আয়াতগুলো সূরা আল আনআমের ১৬২ ও ১৬৩ নং আয়াত:বল: আমার নামাজ, আমার কুরবানি এবং আমার জীবন ও মরণ বিশ্ব প্রতিপালক আল্লাহরই জন্যে - তার কোন অংশীদার নেই। আমি তাই আদিষ্ট হয়েছি এবং আমি প্রথম আনুগত্যশীল।এই উৎকীর্ণ অংশগুলো একমাত্র অলংকরণ যা নিশ্চিতভাবে ফাতেমীয় যুগের সাথে সম্পর্কিত করা যায়।\n১০০৯ থেকে ১০১০ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে মার্বেলের মেঝে যুক্ত করা হয়। উঠোনকে ঘিরে থাকা আর্কেড কিল আকৃতির আর্চ যুক্ত ও অলঙ্করণ সমৃদ্ধ। এসকল আর্চ আল-হাফিজের শাসনামলে নির্মিত হয়েছিল। অলঙ্করণগুলোও তার সময়ের এবং ১৮৯১ খ্রিষ্টাব্দে সেগুলো পুনরায় অঙ্কন করা হয়। দুই ধরনের অলঙ্করণ এতে ব্যবহৃত হয়েছে। এছাড়াও কুফিক লিপিতে লেখা কুরআনের আয়াত উৎকীর্ণ রয়েছে। কুরআনের আয়াত ফাতেমীয় যুগে উৎকীর্ণ হয়েছিল। দক্ষিণের আর্কেডে মূল প্রবেশপথ অবস্থিত।",
"কুরআনের সমালোচনা ও খণ্ডন\nইসলাম ধর্মাবলম্বীদের মতে কুরআন (বানানভেদঃ কোরান, কুরান, কোরআন; ইংরেজিঃ Quran, Koran) ইসলামের প্রধানতম ধর্মগ্রন্থ এবং পুরো নির্ভুল কিতাব। এটি বিশ্ব স্রষ্টা আল্লাহর পক্ষ থেকে ইসলামের শেষ নবী মুহাম্মদ এর উপর অবতীর্ণ হয় বলে মুসলিমগণ বিশ্বাস করেন। ইসলামের সকল আইনের মূল উৎস এবং প্রামাণ্য দলিল হিসেবে কুরআনের অবস্থান সর্বাগ্রে। ইসলামের অনুসারীরা বিশ্বাস করেন, কুরআন সকল প্রকার বিতর্ক, সন্দেহ, সংশয় ও ত্রুটির উর্ধ্বে। তবে, অবতরণের পর থেকেই সর্বযুগেই বিরুদ্ধবাদীরা কুরআনের বিভিন্ন সমালোচনা করে আসছেন। কুরআন সংরক্ষণে বিশুদ্ধতা, ঘটনাপ্রবাহ বর্ণনায় বাইবেলের নবীদের সাথে সাদৃশ্য, কুরআনে বর্ণিত ঐতিহাসিক ঘটনাসমূহের বিশুদ্ধতা, বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ, কুরআনে প্রদত্ত বিধি-বিধান ও কুরআনের বর্ণিত নৈতিক মূল্যবোধের মানদণ্ড প্রভৃতি নানা বিষয় সমালোচনার মুখ্য বিষয়ে পরিণত হয়েছে।",
"শরিয়াহর উৎস\nকুরআন হলো ইসলামী আইনশাস্ত্রের প্রথম এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উৎস। বিশ্বাস করা হয় যে এই গ্রন্থের প্রতিটি বাক্য সরাসরি আল্লাহর পক্ষ থেকে জিব্রাঈল ফেরেস্তার মাধ্যমে ইসলামের নবী মুহম্মাদের ওপর মক্কা ও মদীনার বিভিন্ন স্থানে নাযিল করা হয়েছে। কুরআনে নৈতিক, দার্শনিক, সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনীতি ভিত্তিক বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, যা একটি সমাজ নির্মাণে কাজে লাগে। মক্কায় নাযিল হওয়া অংশে দার্শনিক এবং আধ্যাত্মিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। তবে মদীনায় নাযিল হওয়া অংশে আর্থ-সামাজিক আইন নিয়ে বেশি আলোকপাত করা হয়েছে। মুহম্মদের জীবদ্দশাতেই কুরআন লেখা ও সংরক্ষণের কাজ শেষ হয় এবং তার মৃত্যুর কিছুদিন পরেই তা প্রণীত হয়।",
"কদর\nআকীদার মূল বিশ্বাসের একটি হচ্ছে কদর। কিছু মুসলিম বিশ্বাস করে যে ঐশ্বরিক ভাগ্য নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে যখন সৃষ্টিকর্তা \"সংরক্ষিত ফলক\" (\"আল-লাওহ আল-মাহফুজ\") করেছেন, যা কিছু ঘটেছে এবং যা কিছু ঘটবে, তা সবকিছুই লিখা আছে। এই বিশ্বাসনুযায়ী, একজন লোক কোন কাজকর্ম করে সেই ফলকের লিখানুযায়ী নয়, বরং সেটা সেখানে লিখা আছে কারণ সৃষ্টিকর্তা সময়ের কোন বাধ্যবাধকতা ছাড়া সকল কর্মসমূহ সম্পর্কে জানেন। অন্যদিকে কার্যকারণসম্বন্ধীয় সম্পর্ক কদরের অংশ, কারণ মানুষের কর্ম প্রভাব ফেলে যা “\"মুছা এবং বিবৃত করা ফলকে\"”(\"লাওহে মাহফুজ\")। বাক্যটির প্রতিফলন মুসলিম মতবাদনুযায়ী যে আল্লাহ একজন লোকের জীবনের সবকিছু পরিমাপ করেছেন, তাদের সৌভাগ্য বা দুর্ভাগ্য, এবং তাদের চেষ্ঠার ফলও। আবার আল্লাহ কাউকে জোর করার প্রয়োজন পড়ে না ভাল বা খারাপ কিছু করার জন্য তার ইচ্ছার উপর বাধা দিয়ে এবং কেউ বলতে পারবে না যে আল্লাহ তা করেছেন। ভবিষ্যৎ এর উপর যখন নির্দেশ করা হয়, \nআল-কুরআন অনুযায়ী, কিছু লোক নরকে যাবে কারণ তারা খারাপ কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল এবং বাকিরা স্বর্গে যাবে কারণ তাদের ভাল কাজের ফলাফল। এমনকি আল্লাহ তাদেরকে সত্যের পথপ্রদর্শন করার সিদ্ধান্ত নেন তারপরও তারা বিশ্বাস করতে প্রত্যাখান করবেঃ"
] | 91 |
কুতুবুল আকতাব হযরত খাজা সৈয়দ মুহাম্মদ কুতুবউদ্দিন বখতিয়ার কাকীর মৃত্যু সাল কত ? | [
"কুতুবউদ্দিন বখতিয়ার কাকী\n\"কুতুবুল আকতাব\" হযরত খাজা সৈয়দ মুহাম্মদ কুতুবউদ্দিন বখতিয়ার কাকী () (জন্ম ১১৭৩-মৃত্যু ১২৩৫)\nছিলেন একজন মুসলিম সুফি সাধক। তিনি চিশতিয়া তরিকার সাধক ছিলেন। তিনি খাজা মঈনুদ্দীন চিশতীর শিষ্য এবং খলিফা ছিলেন। তার নামেই দিল্লীর বিখ্যাত কুতুব মিনার \nউৎসর্গ করা হয়। শিষ্যত্ব গ্রহণ করার আগেই চিশতিয়া তরিকা শুধুমাত্র আজমির এবং নাগাউর এর মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। দিল্লিতে স্থায়ীভাবে এই তরিকাকে প্রতিষ্ঠায় তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করেন।\nতাঁর দরগাহ (সমাধি) মেহরাউলের জাফর মহলের পাশেই অবস্থিত এবং পুরানো দরগাহ দিল্লিতে অবস্থিত, যেখানে তাঁর ওরশ পালিত হয়। ভারতের অনেক বিখ্যাত শাসক তাঁর ওরশ মহাসমারোহে উদযাপন করতেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন কুতুবউদ্দিন আইবাক, ইলতুতমিশ যিনি কাকীর জন্য “ঘান্দাক কি বাউলি” নামে এক গভীর নলকূপ স্থাপন করেন, শের শাহ সুরি যিনি একটি বড় গেইট তৈরী করেন, বাহাদুর শাহ ১ যিনি দরগাহের পাশে মতি মসজিদ নির্মাণ করেন, ফারুকশিয়ার যিনি মার্বেলের স্ক্রিন এবং মসজিদ নির্মাণ করেন।\nতাঁর সবচেয়ে বিখ্যাত শিষ্য এবং খলিফা হলেন ফরিদউদ্দিন গঞ্জেশকার যিনি আবার দিল্লির বিখ্যাত সাধক নিজামউদ্দিন আউলিয়ার পীর (সূফি গুরু)। নিজামউদ্দির আউলিয়ার শিষ্য হলেন\nমুসলিম সুফি সাধক কবি আমির খসরু এবং নাসিরুদ্দিন চিরাগ-ই-দিল্লি এর পীর।"
] | [
"নিজামুদ্দিন আউলিয়া\n\"সুলতান-উল-মাশায়েখ, মেহবুব-এ-ইলাহী\", শেখ খাজা সৈয়দ মুহাম্মদ নিজামুদ্দিন আউলিয়া (১২৩৮ - ৩ এপ্রিল ১৩২৫) (), হযরত নিজামুদ্দিন নামেও পরিচিত, হলেন ভারতীয় উপমহাদেশে চিশতিয়া তরিকার একজন প্রখ্যাত সূফি সাধক। ভারতে চিশতিয়া তরিকার অন্যতম মহান সূফি সাধকদের মধ্যে তিনি একজন। তাঁর মূল ফরিদ উদ্দিন গঞ্জেশকার, কুতুবউদ্দিন বখতিয়ার কাকী হয়ে খাজা মঈনুদ্দিন চিশতির সাথে মিলিত হয়। এই অনুযায়ী তাঁরা চিশতিয়া তরিকা মৌলিক আধ্যাত্বিক ধারাবহিকতা বা সিলসিলা তৈরী করেছেন, যা ভারতীয় উপমহাদেশে ব্যাপকভাবে প্রচলিত।\nনিজামুদ্দিন আউলিয়া, তাঁর পূর্বসূরীদের ন্যায়, প্রেম বা ইশককে স্রষ্টা বা আল্লাহ প্রাপ্তির পন্থা বা পথ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তাঁর মতে স্রষ্টার প্রতি ভালবাসা মানবতার প্রতি ভালবাসার জন্ম দেয়। জিয়াউদ্দির বারানি নামে চৌদ্দ শতকের একজন ঐতিহাসিক দাবি করেন যে, দিল্লির মুসলমানদের উপর তাঁর প্রভাব এমন ছিল যে পার্থিব ব্যাপারে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি উল্লেখযোগ্য ভাবে পরিবর্তিত হয়। মানুষ আধ্যাত্বিকতা এবং ইবাদতের প্রতি মনোযোগী এবং দুনিয়াবী চিন্তা থেকে পৃথক হয়ে পড়ে।",
"কুতুবউদ্দিন বখতিয়ার কাকী\nকুতুব উদ্দিন বখতেয়ার কাকি ৫৬৯ খ্রিস্টাব্দে দক্ষিণ কিরগিন্তানের \"উশ\" নামক স্থানে জন্মগ্রহণ করেন। ষোলতম শতাব্দিতে মোগল সম্রাট আকবরের উজির আবুল ফজল ইবনে মোবারক রচিত কুতুবউদ্দিনের জীবনী ‘‘আইন-ই- আকবর” তে উল্লেথ করা হয়, তাঁর পিতার নাম কামালুদ্দিন, কুতুবউদ্দিনের দেড় বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন। খাজা কুতুবউদ্দিন এর আসল নাম বখতিয়ার এবং পরবর্তে কুতুবউদ্দিন নামটা দেয়া হয়। তিনি হোসাইন ইবনে আলী মাধ্যমে হয়ে হযরত মুহাম্মদ (দঃ) এর বংশের সাথে মিলিত হয়েছেন। তার মা, যিনি নিজেই একজন শিক্ষিত মহিলা ছিলেন, তাঁর শিক্ষার জন্য শাইখ আবু হিফসকে নিয়োগ দেন।\nমঈনুদ্দিন চিশতি তার ভ্রমণের সময় যখন আউশ দিয়ে যাচ্ছিলেন,খাজা বখতিয়ার তাঁর হাতে বায়াত দান করেন এবং তাঁর থেকে খেলাফত গ্রহণ করেন। এভাবেই তিনি মঈনুদ্দিন চিশতির প্রথম খলিফা হিসেবে নিযুক্ত হন।",
"শিরাণ খলজী\nআলী মর্দান কৌশলে জেল থেকে পালিয়ে দিল্লী চলে যায়। তখন সুলতান ছিলেন কুতুবউদ্দিন আইবেক। আলী মর্দান সুলতানকে মুহাম্মদ শিরান খলজীর বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে তুলেন। তার চক্রান্তে কুতুবউদ্দিন আইবেক কায়মেজ রূমীকে অযোধ্যা থেকে লখনৌতিতে পাঠিয়ে দেন। এসময় হুসামুদ্দীন ইওজ খলজি, যিনি বখতিয়ার খলজীর কাছ থেকে গঙ্গাতরী অঞ্চল পেয়েছিলে, কায়মাজ রূমীকে অভ্যর্থনা জানাতে গেলেন। কায়মেজ রূমী তাকে দেবকোটের জায়গীর প্রদান করলেন। ফলে মুহাম্মদ শিরান খলজী অন্যান্য খলজী আমীরদের সাথে নিয়ে দেবকোট আক্রমণ করেন। কায়মেজ রূমীর সাথে খলজী আমীরদের যুদ্ধ সংঘটিত হয় এবং খলজী আমীররা যুদ্ধে পরাজিত হন। যুদ্ধে পরাজয়ের পর খলজী আমীরদের মধ্যে পারস্পরিক সংঘাত শুরু হয়। অনেক আমীর শিরান খলজীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে। মাসেদা -সন্তোষের কাছে বিদ্রোহ শুরু হলে মুহাম্মদ শিরান খলজী পরাজিত হন এবং বিদ্রোহীদের হাতে নিহত হন।",
"ছৈয়দ মাহমুদ আগা\nহযরত ছৈয়দ মাহমুদ আগা শাহ সাহেব আফগানিস্তানের একজন সুফি সাধক ছিলেন। তিনি ছৈয়দ উল সাদাত হযরত ছৈয়দ মীর জান শাহ সাহেব এর বড় ভাই। মনে করা হয়ে থাকে যে ছৈয়দ মাহমুদ আগা শাহ সাহেব অক্টোবর ১৮৮২ সালে মৃত্যুবরণ করেন।\nমাতা এবং পিতার উভয়ের দিক থেকে ছৈয়দ মীর জান ছৈয়দ বংশের (হযরত মুহাম্মদ (দঃ) এর কন্যা ফাতিমা এবং তার চাচাত ভাই আলী ইবনে আবি তালিবের বংশ হয়ে হযরত মুহাম্মদ (দঃ) এর বংশের সাথে গিয়ে মিলিত হয়েছে) সন্তান ছিলেন। তার পিতা যে বংশের উত্তরসূরী ছিলেন সে বংশে বার ইমামের সাতজন জন্মগ্রহণ করেন এবং মাতা যে বংশের উত্তরসূরী ছিলেন সে বংশে বার ইমামের এগার জন জন্মগ্রহণ করেন। এই বংশে ছৈয়দ বাহাউদ্দিন নকশবন্দি, ছৈয়দ আলাউদ্দিন আতার এবং খাজা থাওয়ান্দ মাহমুদও (হযরত ইহসান নামেও পরিচিত) জন্মান। কারবালার যুদ্ধের পর আহলে বায়াতের বংশধররা পুনরায় মদীনায় ফিরে যান। সেখান থেকে মুসা আল কাজিম ইরাকে চলে যান। মুসা আল কাজিমের পুত্র হামযা পারস্যে চলে যান। এরপর কয়েকজন রোখারাতে এবং সেখান কাবুলে চলে যান, যেখানে মীর জান জন্মগ্রহণ করেন।",
"আবুল খায়ের\n৩রা নভেম্বর, ২০১৩ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল, চৌধুরী মুঈনুদ্দীন এবং আশরাফুজ্জামান খান কে ১৯৭১ সালের ১০ থেকে ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে আবুল খায়ের সহ ১৮ জন বুদ্ধিজীবীকে অপহরণের পর হত্যার দায়ে ফাঁসির দড়িতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২।\nমো. আবুল খায়েরের জন্ম পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার কাঁঠালিয়া গ্রামে, ১ এপ্রিল ১৯২৯। বাবা আবদুর রাশেদ, মা সৈয়দা ফখরুননেছা। পিরোজপুর সরকারি স্কুল থেকে ১৯৪৫-এ প্রথম বিভাগে প্রবেশিকা পাস করে কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজে পড়াশোনা করেন। ১৯৪৭-এ প্রথম বিভাগে আইএ পাস করে ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। এখান থেকে ১৯৫০ সালে ইতিহাসে অনার্স (দ্বিতীয় শ্রেণিতে তৃতীয়) এবং ১৯৫১ সালে এমএ পাস করেন। ১৯৫৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাসে এমএ এবং ১৯৬২ সালে আমেরিকান ইতিহাসে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন।",
"কুতুবউদ্দিন বখতিয়ার কাকী\nখাজা বখতিয়ার কাকি এই আধ্যাত্বিক পঙক্তি দ্বারা এতটাই পরমান্দ লাভ করলেন যে তিনি ততক্ষণাৎ মূর্ছা গেলেন। ঐ আধ্যাত্বিক পরমান্দের মাঝেই চারদিন পর তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর দরগাহ, (মাজার), দিল্লির মেহরুলে অবস্থিত কুতুব মিনার কমপ্লেক্সের নিকটে জাফর মহলের পাশে অবস্থিত। \nতাঁর জোর নির্দেশ ছিল, মৃত্যুর পর তাঁর নামাজে জানাজার নেতৃত্ব সে ব্যক্তিই দিবেন, যিনি কখনও কোন হারাম কাজ করেননি এবং আসরের সালাত এর সুন্নত কখনও ছাড়েননি।",
"খাজা ইউনুস আলী\nমহান এই মুর্শিদ খাজা এনায়েতপুরী (রঃ) বাংলা ১৩৫৮ সনের ১৮ ফাল্গুন রোববার, ইংরেজী ১৯৫২ সালের ২ মার্চ ইন্তেকাল করলে তার প্রতিষ্ঠিত এনায়েতপুর পাক দরবার শরীফের গদ্দিনশীন পীর হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত হন বড় ছেলে আলহাজ্ব হযরত খাজা হাশেম উদ্দিন। তাঁর মৃত্যুর পর এ দায়িত্ব আরেক সন্তান হযরত খাজা মোজাম্মেল হকের উপর ন্যাস্ত করা হয়। পরে তিনি অসুস্থ্য হয়ে ইন্তেকাল করলে খাজা ইউনুছ আলী এনায়েতপুরী (রঃ) এর আরেক ছেলে বর্তমান গদ্দিনশীন হুজুরে পাক হযরত খাজা কামাল উদ্দিন নুহু মিয়া দায়িত্ব গ্রহণ করে ইসলামের শান্তির মর্মবাণী প্রচারে বাবার মতই কাজ করছেন।",
"সৈয়দ মুহাম্মদ আজিজুল হক\nচল্লিশ দশকের প্রারম্ভে চট্টগ্রামের প্রখ্যাত আলেম আল্লামা আব্দুল হামিদ ফখরে বাংলা (রহ.) অনেক আলেমসহ কাদিয়ানীদের সাথে আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদে মোনাজেরায় অংশগ্রহণ করেছিলেন। সেখানে দীর্ঘক্ষণ ধরে প্রশ্ন-উত্তর চলাকালে আল্লামা গাজী শেরে বাংলা (রহ.) তাদের উত্তাপিত প্রশ্নের উত্তর প্রদান পূর্বক সেই বিষয়ে প্রশ্ন করতেই আল্লাহর অসীম কুদরতে তিনি শোচনীয়ভাবে পরাজয় বরণ করেন।উপস্থিত সকলে তাঁর এরূপ বুদ্ধিদীপ্ত জ্ঞান ও দুর্দান্ত সাহস দেখে অবাক হয়ে যায়। তখন আল্লামা আব্দুল হামিদ ফখরে বাংলা (রহ.) সবার সমর্থন নিয়ে ঘোষণা করেন, \"আজ আমি এই সভায় আলেম সমাজের প্রক্ষ থেকে ঘোষণা দিচ্ছি মাওলানা সৈয়দ আজিজুল হক আলকাদেরীকে \"শেরে বাংলা\" উপাধিতে ভূষিত করা হল\"।",
"আবদুর রহিম আলহাজ মুহাম্মদ\nআবদুর রহিম আলহাজ মুহাম্মদ (;১৮৯২ – ২৩ মার্চ ১৯৩৯) (কুনিয়া আবু কামাল নামেও পরিচিত) ছিলেন মেন্ডেটরি প্যালেস্টাইনে ১৯৩৬-৩৯ সালে সংঘটিত আরব বিদ্রোহের একজন খ্যাতনামা ফিলিস্তিনি আরব কমান্ডার। ব্রিটিশ শাসন এবং ক্রমবর্ধমান ইহুদি বসতির বিরুদ্ধে এই বিদ্রোহ সংঘটিত হয়। তার অধিকাংশ কর্মকাণ্ড তুলকারেম, নাবলুস ও জেনিন কেন্দ্রিক ছিল। এসকল স্থান বর্তমানে পশ্চিম তীরের অংশ। ১৯৩৮ সালের সেপ্টেম্বরে তিনি বিদ্রোহের জেনারেল কমান্ডার হন। তবে আরিফ আবদুর রাজিকের সাথে তার পদ বদল হত। ১৯৩৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে আলহাজ মুহাম্মদকে বিদ্রোহের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এই পদ পূর্ণভাবে প্রদান করে। মার্চে ব্রিটিশদের সাথে লড়াইয়ের সময় তিনি নিহত হন।"
] | 97 |
ঈশ্বরের অস্তিত্বে যারা বিশ্বাসী তাদের কি বলা হয় ? | [
"ঈশ্বর\nঈশ্বর () হল জাগতিক ক্ষমতার সর্বোচ্চ অবস্থানে অবস্থানকারী কোন অস্তিত্ব । অনেকের মতে , এই মহাবিশ্বের জীব ও জড় সমস্তকিছুর সৃষ্টিকর্তা ও নিয়ন্ত্রক আছে মনে করা হয় । এ অস্তিত্বে বিশ্বাসীগণ ঈশ্বরের উপাসনা করে , তাদেরকে আস্তিক বলা হয় । আর অনেকে এ ধারণাকে অস্বীকার করে , এদেরকে বলা হয় নাস্তিক ।"
] | [
"সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব\nবিজ্ঞানীরা অনুসরণ করে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি, যার মধ্যে তত্ত্ব যাচাইযোগ্য হতে হবে বাস্তবিক পরীক্ষা দ্বারা . এই ভিত্তিতে, ঈশ্বরের অস্তিত্ব সংক্রান্ত , যার জন্য প্রমাণ করা যাবে না, পরীক্ষা definitionally মিথ্যা বাইরে আওতার আধুনিক বিজ্ঞান. এই ক্যাথলিক চার্চ বজায় রাখে যে জ্ঞান ঈশ্বরের অস্তিত্ব হয়, \"প্রাকৃতিক আলো মানবিক কারণে\". Fideists স্বীকার করেন যে বিশ্বাস ঈশ্বরের অস্তিত্ব হতে পারে না, এক্তিয়ারভুক্ত বিক্ষোভের বা অপ্রমাণ, কিন্তু উপর অবস্থিত থাকলে সংশ্লিষ্ট বিশ্বাসের একা. নাস্তিকতার দেখেছে আর্গুমেন্ট জন্য ঈশ্বরের অস্তিত্ব হিসেবে অপর্যাপ্ত, ভুল বা কম ওজনের তুলনায় যুক্তির বিরুদ্ধে. অন্যান্য ধর্ম যেমন বৌদ্ধ, না, উদ্বেগের সঙ্গে নিজেদের দেবতা অস্তিত্ব সব সময়ে, যখন ধর্ম যেমন জৈন সম্ভাবনা প্রত্যাখ্যান, একটি স্রষ্টা, দেবতা.",
"ইব্রাহিমীয় ধর্মে ঈশ্বর\nসর্বাধিক খ্রিস্টান সম্প্রদায়গুলি বিশ্বাস করে যিশু একজন মানুষ হিসেবে ঈশ্বরের পুনর্বিভাব, যা ইহুদীধর্ম এবং ইসলাম থেকে খ্রীষ্টধর্মের প্রধান পার্থক্য। যদিও ব্যক্তিগত পরিত্রাণ সম্পর্কে ইহুদীধর্মে পরোক্ষভাবে বিবৃত করা হয়েছে, অনুগ্রহ ও সঠিক বিশ্বাসের জোরে ব্যক্তিগত পরিত্রাণের কথা খ্রিস্টানধর্মেই জোর দিয়ে বলা হয়েছে। তবে মানুষ ও ঈশ্বরের মধ্যে মধ্যবর্তী কারো অস্তিত্বে বিশ্বাস নূহ আইনের সাথে বিরোধ করে এবং একেশ্বরবাদে অস্বীকার করে।",
"ষড়দর্শন\nএই দর্শনগুলো এই অর্থে 'আস্তিক' যে এগুলি বেদে বিশ্বাস স্থাপন করে ও বেদকেই একমাত্র প্রামাণ্য বলে স্বীকার করে। এখানে আস্তিকতা অর্থে ঈশ্বরে বিশ্বাসের সাথে কোনও সম্পর্ক নেই। বস্তুত আস্তিক বলে পরিচিত এই ছ'টি দর্শনের অন্যতম সাংখ্য ও মীমাংসা জগতের স্রষ্টা হিসেবে ঈশ্বরের অস্তিত্বেই বিশ্বাস করে না; বৈশেষিক দর্শনেও সরাসরি ঈশ্বর সম্পর্কিত কোনও কথা বলা নেই। আবার ন্যায় দর্শন যদিও ঈশ্বর ও আত্মার অস্তিত্বে বিশ্বাসী, এই দর্শনের মতে জগতেরও স্বতন্ত্র অস্তিত্ব আছে। অর্থাৎ, বেদান্ত দর্শনে যে ঈশ্বর (সগুণ ব্রহ্ম) ও ব্রহ্মের (নির্গুণ) কথা বলা হয়েছে এবং ব্রহ্মই সত্য, জগত মিথ্যা বলে মতপ্রকাশ করা হয়েছে - আস্তিক বলে পরিচিত সমস্ত দর্শনগুলিই সে প্রশ্নে মোটেই একমত নয়।",
"রাসেলের চায়ের কেতলি\nরিচার্ড ডকিন্স তাঁর ২০০৩ সালের বই “এ ডেভিলস চ্যাপলেইন” এ এই রুপকটি ব্যবহার করে ঈশ্বরের অস্তিত্বের ক্ষেত্রে সংশয়বাদের সমালোচনা করেন। বিজ্ঞান ঈশ্বরের অস্তিত্ব বা অনস্তিত্ব সম্পর্কে কিছু বলতে পারে না। অতএব, একজন ধর্মীয় সংশয়বাদী বিশ্বাস করেন যে বিশ্বাস-অবিশ্বাস মানুষের ব্যক্তিগত রুচির ব্যাপার এবং দু’টোই সমপরিমাণ গুরুত্বের দাবিদার। ডকিন্স এখানেই এই রুপকের অবতারনা করেন: একজন সংশয়বাদী যদি বিশ্বাস-অবিশ্বাসকে একই পাল্লায় মাপতে চান, তবে তাকে চায়ের কেতলীতে বিশ্বাসকেও সমপরিমাণ সম্মান দেখাতে হবে কারণ এটির অস্তিত্ব ঈশ্বরের অস্তিত্বের থেকে কোনক্রমেই বেশি সম্ভাব্য নয়।",
"ধর্মের সমালোচনা\nঈশ্বরবাদী বিশ্বাস প্রসঙ্গে স্টিফেন রবার্টস বলেন, “আমি [তর্কের খাতিরে] দাবি করছি যে আমরা উভয়ই নাস্তিক, আমি শুধু আপনার চেয়ে একজন কম ঈশ্বরে বিশ্বাস করি মাত্র। আপনি যখন এটা বোঝেনই যে কেন আপনি অন্য সব সম্ভাব্য ঈশ্বরদের [অস্তিত্ব] প্রত্যাখ্যান করেন, তাহলে এটাও [নিশ্চয়ই আপনি] বুঝবেন [যে] কেন আমি আপনার ঈশ্বরকে প্রত্যাখ্যান করি।”",
"হিন্দু-মুসলিম সম্পর্ক\nঅন্যান্য ইব্রাহিমীয় ধর্মের মতই ইসলাম ধর্মও ফেরেশতার অস্তিত্বে বিশ্বাসী যারা হলেন আল্লাহর সৃষ্ট স্বর্গীয় দূত। এপরদিকে হিন্দুধর্মেও স্বর্গীয় দুত রয়েছে যাদের দেবতা বা দেবী বলা হয়। এরা দুই ভাগে বিভক্ত। এক শ্রেণী হল ঈশ্বরের অংশ আর অপর শ্রেণী হল ঈশ্বর কর্তৃক সৃষ্ট। হিন্দুধর্মে স্বর্গীয় দূতদের পূজা করা হয়, যা ইসলাম ধর্মে নিষিদ্ধ। ইসলাম ধর্মে ঈশ্বর ব্যতীত কোন কিছুর উপাসনা করা নিষিদ্ধ। অপরদিকে হিন্দু ধর্মে দেবদূতদের পূজাকে আধ্যাত্মিক সাধনার অংশ হিসেবে গণ্য করা হয়। ইসলাম ধর্মে ইবলিশ হল জ্বিন প্রজাতি হতে জন্ম নেয়া, মানুষের মনে কুমন্ত্রণা প্রদানকারী শয়তান শ্রেণীর নেতা। ইসলামে শয়তানের অস্তিত্বে বিশ্বাসের মতই হিন্দুধর্মেও অসুরে বিশ্বাস করা হয়| হিন্দুধর্মে একাধিক অসুর রয়েছে কিন্তু তারা কোন নেতৃস্থানীয় অসুরে বিশ্বাস করে না।",
"আস্তিকীয় সম্ভাবনার বর্ণালী\n\"দ্য গড ডিলিউশন\" গ্রন্থে রিচার্ড ডকিন্স বলেন, \"ঈশ্বরের অস্তিত্ব অন্যান্য বৈজ্ঞানিক অনুকল্পের মতই একটি\"। তিনি ঈশ্বরে বিশ্বাস এর অবস্থান নিয়ে দুটো চরমের দিকে (আস্তিক্যবাদ ও নাস্তিক্যবাদ) না গিয়ে এই দুই চরমের মাঝে একটি অনবরত বর্ণালি হিসেবে কল্পনা করেন যাকে ৭টি মাইলফলকের দ্বারা প্রকাশ করা যেতে পারে। তিনি এই বর্ণালীকে বলেন \"সম্ভাবনার বর্ণালী\" (Spectrum of probability) যেখানে ঈশ্বরের অস্তিত্বের সম্ভাবনার উপর ভিত্তি করে কোন ব্যক্তি এই বর্ণালীতে নিজেদের অবস্থানকে ঠিক করেন। ডকিন্স এই সাতটি মাইলফলকের জন্য আলাদা আলাদাভাবে সংজ্ঞাগত বর্ণনাও দান করেছেন। এই মাইলফলকগুলো হল:ডকিন্স বলেন, বেশিরভাগ আস্তিক মানুষ তাদের সন্দেহের বিরুদ্ধে গিয়ে ধর্মীয় বিশ্বাসকে শক্তভাবে আকড়ে থাকেন, এবং তাই নিজেদেরকে ১ নং অবস্থানেই ফেলেন। এদিকে বেশিরভাগ নাস্তিক নিজেদেরকে ৭ নং অবস্থানে ফেলেন না, কারণ প্রমাণের অভাবে নাস্তিক্যবাদের উদ্ভব হয় এবং প্রমাণের উপস্থিতি সবসময়ই চিন্তাশীল মানুষের চিন্তাকে পরিবর্তন করে ফেলতে পারে। বিল মার এর নেয়া এক সাক্ষাতকারে ডকিন্স নিজেকে ৬ নং অবস্থানে ফেলেন বলে স্বীকার করেছিলেন। তবে পরবর্তিতে এনথোনি কেনি এর নেয়া এক সাক্ষাতকারে ডকিন্স প্রস্তাব করেন \"৬.৯\" নং অবস্থানই বেশি শুদ্ধ হবে।",
"ঔদাসীন্যবাদ\nএপাথিস্ট বা ঔদাসীন্যবাদীরা ঈশ্বরের অস্তিত্ব স্বীকার কিংবা অস্বীকার করতে আগ্রহী নয়। ঈশ্বরের অস্তিত্ব নেই এমনভাবেই তারা দিনযাপন করেন এবং যেকোন ঘটনা ঐশ্বরিক নয় বরং প্রাকৃতিকভাবেই সংঘটিত হয় বলে মনে করেন। ঈশ্বরের অস্তিত্ব একেবারে উড়িয়ে দেয়া হয় না বরং তার অস্তিত্ব অদরকারী ও অপ্রয়োজনীয় বলে ধরা হয়। ঈশ্বর জীবনের লক্ষ্য প্রদসান করেন না কিংবা দৈনন্দিন জীবনে প্রভাব রাখেন না বলেই মানা হয়।",
"অজ্ঞেয়বাদ\nঋগ্বেদ পৃথিবী এবং দেব-দেবীদের তৈরি হওয়ার ব্যাপারে একটি অজ্ঞেয়বাদী মতবাদ গ্রহণ করে। ঋগ্বেদের দশম অধ্যায়ের 'নাসাদিয়া শুক্তা' (সৃষ্টিতত্ত্ব) এ বলা হয়েছেঃ\nএরিস্টটল,\nএন্সলাম,\nআকুইনাস,\nএবং দেকার্ত যৌক্তিকভাবে ঈশ্বরের অস্তিত্বের প্রমাণ দিতে চেষ্টা করে যুক্তিগুলি উপস্থাপন করেন। ঈশ্বরের অস্তিত্ব বা অস্তিত্বহীনতার যেকোন সন্দেহাতীত প্রমাণ করানো অসম্ভব বলে ডেভিড হিউমের সন্দেহজনক অভিজ্ঞতাবিজ্ঞান, ইমানুয়েল কান্টের বিরোধাভাস, এবং সোরেন কেরেকগার্ডের অস্তিত্ববাদী দর্শন পরবর্তী অনেক দার্শনিক বিশ্বাসকে এই প্রচেষ্টা পরিত্যাগ করার জন্য উপলব্ধি করায়।",
"ইব্রাহিমীয় ধর্মে ঈশ্বর\nঅধিকাংশ খ্রিস্টানের জন্যই, ঈশ্বর সম্পর্কে বিশ্বাস ত্রি-স্বত্তা মতবাদের উপর দাঁড়িয়ে আছে, যাতে বলা হয় যে তিনজন ঈশ্বর একসঙ্গে একজন একক ঈশ্বর হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। এই মতবাদ মূলত নিসিয়া কাউন্সিলে বিধিবদ্ধ করা হয়েছিল এবং নিসিয়ান ধর্মমতে সন্নিবেশিত রয়েছে। ত্রি-স্বত্তা মতবাদ এ বিশ্বাসের উপর উপর জোর দেয় যে, ঈশ্বরের একটি ইচ্ছা আছে, এবং ঈশ্বরপুত্রের দুইটি ইচ্ছা আছে- ঐশ্বরিক এবং মানবিক, এবং এরা কখনোই পরস্পর সংঘাতী নয়, বরং হাইপোস্ট্যাটিক সংঘে মিলিত।"
] | 36 |
আন্তর্জাতিক অলাভজনক প্রচার মাধ্যম সংস্থা উইকিলিকস কবে প্রতিষ্ঠিত হয় ? | [
"উইকিলিকস\nউইকিলিকসের ওয়েবসাইট ৪ অক্টোবর ২০০৬ সালে নিবন্ধিত হয়। উইকিলিকস ইন্টারনেটে প্রথম তথ্য প্রদর্শন করে ডিসেম্বর ২০০৬ সালে। প্রতিষ্ঠানটি দাবী করছে যে, চীনা ভিন্নামতাবলম্বী ছাড়াও সাংবাদিক, গণিতবিদ এবং প্রযুক্তিবিদ হিসেবে যারা যুক্তরাষ্ট্র, তাইওয়ান, ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া এবং দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে এসেছে তারাই উইকিলিকস্ সমৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখছেন। উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে সঠিকভাবে কাউকেই চিহ্নিত করা যায়নি। তবে ওয়েবসাইটে জুলিয়ান এ্যাসেঞ্জ ও সহকর্মীদেরকে উপস্থাপন করা হয়। এ্যাসেঞ্জ নিজেকে উইকিলিকসের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হিসেবে দাবী করেন। দি অস্ট্রেলিয়ান পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ্যাসেঞ্জকে উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে লেখা হয়। ওয়্যার্ড ম্যাগাজিনের তথ্য মতে জানা যায়, একজন স্বেচ্ছাসেবীর মতে “এ্যাসেঞ্জের ভূমিকা হচ্ছে - প্রতিষ্ঠানটির হৃদয় ও আত্মা হিসেবে যাতে তিনি একজন প্রতিষ্ঠাতা, দার্শনিক, মুখপাত্র, সঠিক বিনিময়কারী, উদ্যোক্তা, অর্থলগ্নীকারী এবং এক কথায় সবকিছু।” জুন, ২০০৯ সালে ১,২০০ এরও বেশি নিবন্ধনকারী স্বেচ্ছাসেবী ছিল এবং উপদেষ্টা পরিষদে এ্যাসেঞ্জ-সহ ফিলিপ এডামস্, ওয়াং ড্যান, সি.জে. হিঙ্ক, বেন লরি, আশি ন্যামগিয়াল খামসিতসাং, জিয়াও কিয়াং, চিকো হুয়াইটেকার এবং ওয়াং ইয়োকাই ছিলেন। বর্ণিত তালিকা মোতাবেক মাদার জোনস ম্যাগাজিন ২০১০ সালে খামসিতসাংয়ের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান উইকিলিকসের পক্ষ থেকে একটি ইমেইল পেলে উপদেস্টার পদে যেতে অস্বীকৃতি জানান।",
"উইকিলিকস\nউইকিলিকস(ইংরেজি: \"WikiLeaks\") একটি আন্তর্জাতিক অলাভজনক প্রচার মাধ্যম সংস্থা যা দোষ্প্রাপ্য দলিল অপ্রকাশিত সূত্র ও মাধ্যম থেকে প্রকাশ করে। ২০০৬ সালে এটির ওয়েবসাইট দ্য সানশাইন প্রেস কর্তৃক তৈরী হয়ে অদ্যাবধি পরিচালিত হচ্ছে। পরিচালনার এক বৎসরের মধ্যেই সাইটটি দাবী করে যে তাদের ডাটাবেজে ১.২ মিলিয়নেরও বেশি ডকুমেন্টস বা দলিল রক্ষিত আছে এবং প্রতিদিনই তা বৃদ্ধি পাচ্ছে।."
] | [
"অলাভজনক সাংবাদিকতা\nনিউ ইন্টারন্যাশনালিস্ট ম্যাগাজিন ১৯৭৩ সালে যুক্তরাজ্যে প্রকাশিত হয় এবং ১৯৭৯ সাল থেকে অস্ট্রেলিয়ায় একটি পৃথক কোম্পানি হিসেবে বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ধরে প্রতিষ্ঠিত অলাভজনক প্রকাশনা হিসেবে বিদ্যমান রয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে দুটি স্থানীয় অলাভজনক সাংবাদিকতা সংস্থা হল ১৯৭৪ সালে প্রতিষ্ঠিত দ্য শিকাগো রিপোর্টার এবং ১৯৭৬ সালে প্রতিষ্ঠিত সিটি লিমিটস ম্যাগাজিন, যা সামাজিক ও অর্থনৈতিক নাগরিক নীতি বিষয়ে আলোকপাত করে। ১৯৭৭ সালে প্রতিষ্ঠিত সেন্টার ফর ইনভেস্টিগেটিভ রিপোর্টিং হল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে প্রাচীন অলাভজনক অনুসন্ধানী সংবাদ সংস্থা। আরেকটি প্রাচীন সংস্থা হল ১৯৮৯ সালে সাবেক এবিসি নিউজ ও সিবিএস নিউজের প্রযোজক চার্লস লুই প্রতিষ্ঠিত সেন্টার ফর পাবলিক ইন্টিগ্রিটি (সিপিআই)। সিপিআইয়ের আন্তর্জাতিক অঙ্গসংগঠন ইন্টারন্যাশনাল কনসর্টিয়াম অব ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিস্টস (আইসিআইজে) ১৯৯৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। আইসিআইজে ৬০টি দেশে ১৭৫ জন অনুসন্ধানী প্রতিবেদক নিয়ে একটি বিশ্বব্যাপী নেটওয়ার্কে পরিচালিত হয়।",
"অলাভজনক সাংবাদিকতা\nসম্প্রতি অলাভজনক সাংবাদিকতা প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রোপাবলিকা, ফেয়ার অবজারভার, দ্য টেক্সাস ট্রিবিউন, মিনপোস্ট, ভয়েস অব সান দিয়েগো, ওয়াচডগ.ওআরজি, ইন্টারন্যাশনাল রিপোর্টিং ফোরাম, গ্লোবাল রিপোর্টিং ফোরাম, দ্য হাফিংটন পোস্ট ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডের উত্থান হয়েছে। ২০০৯ সালের জুলাই মাসে ২০টি অলাভজনক সংবাদ সংস্থা ও অতিথি সংস্থা এক সভায় অংশগ্রহণ করে অলাভজনক সংবাদ সংস্থা অনুসন্ধানী সাংবাদিকতায় যেসব বিষয়ের মুখোমুখি হচ্ছে তা নিয়ে আলোচনা করে এবং সেখানে অনুসন্ধানী সংবাদ মাধ্যম গঠন করে। পরে এই মাধ্যমের নাম দেওয়া হয় ইনস্টিটিউট ফর নন-প্রফিট নিউজ। ২০১০ সালের এপ্রিল মাসে, ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিসম এর অধীনে একটি লন্ডনভিত্তিক অলাভজনক উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।",
"রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইং\nব্রিটিশ ভারতের প্রথম গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো প্রতিষ্ঠা করা হয় ১৯৩৩ সালে। ১৯৪৭ সালে ভারত স্বাধীন হওয়ার পরে সঞ্জীব পিল্লাই আই.বি'র প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ভারতের বিভিন্ন যুদ্ধে এর ব্যর্থতার কারনে নতুন \"রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইং\" প্রতিষ্ঠা করা হয়।\nনিয়োগকৃত নতুন এজেণ্টদের মনোবল বৃদ্ধির জন্য প্রাথমিক ভাবে কিছু উৎসাহমূলক আলাপ-আলোচনার ব্যবস্থা করা হয়। এটি একটি দশ-দিন ব্যাপী কার্যক্রম যেখানে নতুন এজেণ্টরা গুপ্তচরবৃত্তি সংক্রান্ত বাস্তবতা, গোয়েন্দা জ্ঞান সংক্রান্ত বুদ্ধিমত্তা নিয়ে পরিচিতি লাভ করে। এছাড়াও সাধারণ রীতিনীতি, বাণিজ্যিক কৌশল, এবং তথ্যের শ্রেণীবিন্যাস সম্পর্কেও তাদের অবহিত করা হয়। পাশাপাশি স্পেস টেকনোলোজি, তথ্যগত নিরাপত্তা, জ্বালানি নিরাপত্তা এবং বৈজ্ঞানিক জ্ঞান সম্পর্কিত নানান ধারণাও তাদের শেখানো হয়। নব নিযুক্ত এজেণ্টদের বিভিন্ন বৈদেশিক ভাষা ও ভৌগোলিক কৌশলগত বিশ্লেষণ নিয়েও তাদের পারদর্শী করে গড়ে তোলা হয়। তাদের অধ্যয়নের তালিকায় সিআইএ, কেজিবি, মোসাদ ও এমআই৬ নিয়েও কেইস স্টাডি রয়েছে। তাদের এও শিক্ষা দেওয়া হয় যে শত্রু-মিত্র নিরূপণ করা দেশের পররাষ্ট্র নীতির কাজ, গোয়েন্দা সংস্থার নয়। গুরগাঁওয়ের একটি আবাসিক প্রশিক্ষণ ও ভাষা ইনস্টিটিউটে র অফিসারদের এই প্রাথমিক প্রশিক্ষণ পরিচালিত হয়। মুম্বাইয়ে আর্থিক-গোয়েন্দাগিরি সংক্রান্ত একটি বহুমুখী-নিয়মানুবর্তীতামূলক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপিত করা হচ্ছে যেখানে নব-নিযুক্ত এজেণ্ট অফিসারদের মানি-লন্ডারিং-কে ঘিরে গড়ে উঠা বিভিন্ন অপরাধ সম্পর্কিত জ্ঞান নিয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।",
"মিস ইউনিভার্স\nমিস ইউনিভার্স () বার্ষিকভিত্তিতে আয়োজিত আন্তর্জাতিক সৌন্দর্য্য প্রতিযোগিতাবিশেষ। এ প্রতিযোগিতাটি মিস ইউনিভার্স সংস্থা কর্তৃক পরিচালিত হয়ে থাকে। ক্যালিফোর্নিয়ায় প্রতিষ্ঠিত পোষাক প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান প্যাসিফিক মিলসের উদ্যোগে ১৯৫২ সালে প্রতিষ্ঠিত এ প্রতিযোগিতাটি অদ্যাবধি নিয়মিতভাবে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। প্রথমে গোল্ডেন লেডি'র অঙ্গ সংগঠন কেসার-রথ এবং পরবর্তীতে গাল্ফ এন্ড ওয়েস্টার্ন ইন্ডাস্ট্রিজ কর্তপক্ষের মাধ্যমে প্রতিযোগিতাটি পরিচালিত হয়েছিল। ১৯৯৬ সাল থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রিয়াল-এস্টেট ব্যবসায়ী, টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব এবং লেখক ডোনাল্ড ট্রাম্প এর দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।",
"আন্তর্জাতিক কলকাতা পুস্তকমেলা\n১৯৭৫ সালে কলকাতার চোদ্দোটি প্রকাশক ও পুস্তকবিক্রেতা সংস্থাকে নিয়ে বিমল ধরের উদ্যোগে গঠিত হয় পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলার্স গিল্ড। এই সংস্থা প্রতিষ্ঠার মূল উদ্দেশ্য ছিল কলকাতায় বার্ষিক বইমেলার আয়োজন। বিমল ধরের সঙ্গে ছিলেন এম. সি. সরকার অ্যান্ড সনস সংস্থার সুপ্রিয় সরকার, দাশগুপ্ত অ্যান্ড কোম্পানির প্রবীর দাশগুপ্ত, সাংবাদিক অতীন রায়, জিজ্ঞাসা প্রকাশনের প্রতিষ্ঠাতা শ্রীশকুমার কুণ্ডা ও সুশীল মুখোপাধ্যায় প্রমুখ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। প্রথমে এই সংস্থার নাম ছিল ‘পাবলিশার্স গিল্ড’। কিন্তু গিল্ড সংবিধান তৈরি হওয়ার পর সংস্থার নাম বদলে রাখা হয় ‘পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলার্স গিল্ড’। সুশীল মুখোপাধ্যায় গিল্ডের প্রতিষ্ঠাতা-সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৭৫ সালেই কলকাতা তথ্যকেন্দ্রে গিল্ড ‘ওয়ার্ল্ড অফ পেপার ব্যাকস’ নামে একটি বইসংক্রান্ত প্রদর্শনীর আয়োজন করে। এরপরই শুরু হয় কলকাতা বইমেলার চিন্তাভাবনা। সর্বভারতীয় প্রকাশক ও পুস্তক বিক্রেতাদের কথা মাথায় রেখে কলকাতা বইমেলার পোশাকি নামকরণ হয় ‘কলিকাতা পুস্তকমেলা’ বা ইংরেজিতে ‘ক্যালকাটা বুক ফেয়ার’। ১৯৭৬ সালে প্রথম কলকাতা বইমেলার আয়োজন করা হয়।",
"আফগান ওয়্যারলেস\n১৯৯৮ খ্রিস্টাব্দে আফগান-মার্কিন টেলিকমিউনিকেশন্স প্রতিষ্ঠান এহসান বায়ত আফগানিস্তানের তালিবান সরকারের কাছ থেকে যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের, যৌথ উদ্যোগে কোম্পানি খোলার জন্যে আলাদাভাবে অনুমতি লাভ করে, যাতে ২০ শতাংশ মালিকানা দেওয়া হয়। এই চুক্তির জন্যে বিনিয়োগকারীদের দ্বারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, এবং সুইডেন থেকে শলাপরামর্শ করা হয়েছিল। আফগান ওয়্যারলেস কমিউনিকেশন্স কোম্পানি, অথবা এডবলুসিসি, প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল টেলিফোন সিস্টেমস ইন্টারন্যাশনালের ভর্তুকিযুক্ত সংস্থা হিসেবে এবং আর্থিক সহায়তা দিয়েছিল ব্রিটিশ শিল্পপতিদ্বয় স্টুয়ার্ট বেন্থাম এবং লর্ড মাইকেল সিসিল। ১৯৯৯ খ্রিস্টাব্দের জুন মাসে তালিবানি অনুমতিপ্রাপ্ত আফগান ওয়্যারলেস আফগানিস্তানে একটা ১৫ বছরের একচেটিয়া মোবাইল পরিসেবার বরাত পায় এবং এক বছরের মধ্যেই আফগান ওয়্যারলেস আফগানিস্তানে আন্তর্জাতিক কলিংয়ের কোড পুনরায় দিতে সমর্থ হয়েছিল। ১৯৯৯ এবং ২০০০ সালে এই কোম্পানি দেশের পুরোনো হাতে চালানো টেলিফোন সুইচবোর্ড, যেটা যুগ যুগ ধরে ভরসা ছিল তার বদলে কাবুল এবং কান্দাহার শহরে ডিজিটাল টেলিফোন এক্সচেঞ্জ তৈরি করেছে।",
"উইকিলিকস\nউইকিলিকস কর্তৃপক্ষ জানায়, তাদের প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে - এশিয়া, সাবেক সোভিয়েট ব্লক, সাব-সাহারান আফ্রিকা এবং মধ্যপ্রাচ্যের আধিপত্যবাদের বিরোধিতা করে সবাইকে জানিয়ে দেয়া। তবে তারা ঐ সকল দেশের জনগণের কাছ থেকে সরকার ও সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর অনৈতিক কায্যকলাপের বিরুদ্ধে সহযোগিতা চান।\nজানুয়ারী ২০০৭ সালে ওয়েবসাইটটি জানায় তাদের হাতে ১.২ মিলিয়নেরও বেশি ফাঁসকৃত দলিল রয়েছে যা প্রকাশের প্রস্তুতি চলছে। দ্য নিউ ইয়র্কার পত্রিকা তাদের একটি প্রতিবেদনে লিখেঃ “উইকিলিকসে কর্মরত একজন সেবক টর নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে এবং মিলিয়নেরও বেশি গোপনীয় দলিল এর মাধ্যমে সরবরাহ করে। ঐ সেবক লক্ষ্য করেছেন যে চীনের হ্যাকাররা নেটওয়ার্কটি ব্যবহার করে অন্যান্য সরকারের তথ্য জমায়েত করে এবং রেকর্ড ধারণ করতে শুরু করে। উইকিলিকসে ঐ ধারণকৃত তথ্যের খুবই ক্ষুদ্র অংশ প্রেরণ করেন। এ্যাসেঞ্জ তাই বলেছেন, আমরা তেরটি দেশের এক মিলিয়নেরও বেশি তথ্য পেয়েছি।”\nঅ্যাসেঞ্জ পরামর্শমূলক জবাব পান যে, চীনের হ্যাকাররা উইকিলিকসের শুরুর দিনগুলোতে পদক্ষেপটি অসত্য। ২০০৬ সালের তদন্তে চীনাদের একজন আমাদের প্রস্তাবে সম্মতি দেয়। অজ্ঞাত স্থান থেকে আসা দলিলগুলো উইকিলিকসে কখনো প্রকাশিত হয়নি। চীনাদের লক্ষ্যস্থল ছিল বেসরকারী প্রতিষ্ঠানগুলো, যেমন: তিব্বতের সংগঠনসমূহ যারা আমাদের দ্বারা পূর্বজ্ঞাত হয়েছিল। এই গ্রুপটি ধারাবাহিকভাবে অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ দলিল প্রকাশ করে যা সংবাদপত্রের প্রধান পৃষ্ঠায় স্থান পাবার উপযোগী। আফগান যুদ্ধে অস্ত্রের ব্যয়ভার থেকে শুরু করে কেনিয়ার দূর্নীতি সম্পর্কীয় তথ্যাদিও এর অন্তর্ভুক্ত ছিল। \nসংগঠনটি তাদের লক্ষ্য হিসেবে বিবৃতি দেয় যে, ই-মেইলের মতো স্পর্শকাতর কিংবা শ্রেণীবদ্ধ দলিল প্রকাশের ফলে কোন সাংবাদিক কারাগারে যেতে পারেন না। চীনা কর্মকর্তা থেকে প্রাপ্ত ইমেইল প্রতিবেদন আকারে প্রকাশের ফলেই ২০০৫ সালে শি তাও নামীয় চীনা সাংবাদিককে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়।",
"উইকিলিকস\nজানুয়ারী ২০১০ এর সাক্ষাৎকারে জানা যায়, উইকিলিকসের ৫জন ব্যক্তি পুরো সময়ব্যাপী এবং প্রায় ৮শত ব্যক্তি মাঝে মাঝে কাজ করে থাকেন যা চিহ্নিত করা যায়নি। প্রতিষ্ঠানটির নিজস্ব কোন দপ্তর নেই। প্রতিবছরে প্রায় ২ লক্ষ পাউণ্ড ব্যয় হয় যা মূলতঃ সার্ভার ও ব্যুরোক্রেসি রক্ষণাবেক্ষণে। কিন্তু যদি স্বেচ্ছাসেবকেরা এর জন্য সম্পূর্ণভাবে দান করেন তা হলে এটি ২ লক্ষ পাউণ্ড পর্যন্ত গড়াবে। উইকিলিকস আইনজীবিদেরকে কোন অর্থ প্রদান করে না। এ্যাসোসিয়েটে প্রেস (এপি), দ্য লস এ্যাঞ্জেলেস টাইমস এবং দ্য ন্যাশনাল নিউজপেপার পাবলিশারস এসোসিয়েশন কর্তৃক দানের মাধ্যমে প্রদত্ত শত-সহস্র ডলার বৈধ সহযোগিতার অংশ হিসেবে দেয়া হয়। দানের মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ হলেও উইকিলিকস পরিকল্পনা করছে যে সাম্প্রতিক তথ্যগুলো নিলামের মাধ্যমে বিক্রি করে অর্থ সংস্থান করা হবে। অও হল্যাণ্ড ফাউণ্ডেশনের মতে, উইকিলিকস কর্তৃপক্ষ নিজস্ব ব্যয় মেটাতে নয়, বরং হার্ডওয়্যার, ভ্রমণ এবং ব্যাণ্ডউইদ ক্রয়ের লক্ষ্যেই এই অর্থ সংগ্রহাভিযান। টেকআই.নেট তাদের প্রতিবেদনে লিখেছিলঃ\nজার্মান আইনে উইকিলিকস ফাউণ্ডেশনের দাতব্য একাউন্টে অর্থ প্রদান করা যাবে। তহবিল সমৃদ্ধ হলে ওয়েবসাইটে একটি অর্থপ্রদান সংক্রান্ত এ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে উইকিলিকস অর্থ গ্রহণ করে। সাইটটির জার্মান প্রতিনিধি ড্যানিয়েল স্কমিট (প্রকৃত নাম ড্যানিয়েল ডমস্কিট বার্গ) রাস্ট্রীয় টেলিভিশনে জানান, ফাউণ্ডেশনটি উইকিলিকসের কোন ব্যক্তিকে বেতনের অর্থ বা কোনরূপ ভাতা প্রদান করে না। সকল ব্যক্তিই স্বেচ্ছায় কাজ করে যাচ্ছেন, এমনকি এই বক্তাও।",
"উইকিলিকস\n১৯৭১ সালে ড্যানিয়েল এলসবার্গের পেন্টাগণ পেপার ফাঁস হয়ে যাবার ফলেই এই প্রকল্পটি দাঁড় করানো হয়। যুক্তরাস্টে কিছু দলিল ফাঁস হয়ে গেলেও তা বৈধভাবে রক্ষা করা হয়। যুক্তরাস্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট আইনজারী করে যে সংবিধান নিশ্চয়তা দেয় রাজনৈতিক অস্বচ্ছতা বিষয়ে প্রকাশ করার ব্যাপারে। সাহিত্যিক ও সাংবাদিক হুয়াইটলী স্ট্রাইবার উইকিলিকসের প্রকল্প সম্বন্ধে বলেন যে, “সরকারী তথ্য ফাঁস করা হলো কারাগারে যাওয়া, কিন্তু কারাবাস হলো সংক্ষিপ্ত ও নিরাপদ। কিন্তু অন্যান্য দেশে তাহলো দীর্ঘমেয়াদী কারাবাস অথবা কখনোবা মৃত্যুদণ্ড, যেমন: চীন, আফ্রিকার কয়েকটি দেশসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশসমূহ উল্লেখযোগ্য।” \n২০০৯ সালের ২৪ ডিসেম্বর উইকিলিকস ঘোষণা করে যে, অপর্যাপ্ত তহবিল এবং নতুন তথ্যের অভাবে তাদের ওয়েবসাইটের কার্যক্রম স্থগিত থাকবে। তারা আরো জানায়, ব্যয়ভার নির্বাহ ও পরিচালনাযোগ্য অর্থ আসলেই তারা পূর্ণোদ্যমে কাজ চালিয়ে যাবে। ৬ জানুয়ারী, ২০১০ তারিখে তহবিলে অর্থের যোগান হলে উইকিলিকস ঘোষণা করে যে, ন্যূনতম অর্থের সংস্থান হয়েছে এবং তারা কাজ চালাবে।"
] | 65 |
পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবন এলাকায় কোন জাতীয় উদ্ভিদের দেখা পাওয়া যায় ? | [
"সুন্দরবন\nসুন্দরবন হলো বঙ্গোপসাগর উপকূলবর্তী অঞ্চলে অবস্থিত একটি প্রশস্ত বনভূমি যা বিশ্বের প্রাকৃতিক বিস্ময়াবলীর অন্যতম। গঙ্গা, মেঘনা ও ব্রহ্মপুত্র নদীত্রয়ের অববাহিকার বদ্বীপ এলাকায় অবস্থিত এই অপরূপ বনভূমি বাংলাদেশের খুলনা, সাতক্ষীরা ও বাগেরহাট জেলা এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের দুই জেলা উত্তর চব্বিশ পরগনা ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জুড়ে বিস্তৃত। সমুদ্র উপকূলবর্তী নোনা পরিবেশের সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বন হিসেবে সুন্দরবন বিশ্বের সর্ববৃহৎ অখণ্ড বনভূমি।। ১০,০০০ বর্গ কিলোমিটার জুড়ে গড়ে ওঠা সুন্দরবনের ৬,০১৭ বর্গ কিলোমিটার রয়েছে বাংলাদেশে এবং বাকি অংশ রয়েছে ভারতের মধ্যে। সুন্দরবন ১৯৯৭ খ্রিস্টাব্দে ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে। এর বাংলাদেশ ও ভারতীয় অংশ বস্তুত একই নিরবচ্ছিন্ন ভূমিখণ্ডের সন্নিহিত অংশ হলেও ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় ভিন্ন ভিন্ন নামে সূচিবদ্ধ হয়েছে; যথাক্রমে “সুন্দরবন” ও “সুন্দরবন জাতীয় উদ্যান” নামে। সুন্দরবনকে জালের মত জড়িয়ে রয়েছে সামুদ্রিক স্রোতধারা, কাদা চর এবং ম্যানগ্রোভ বনভূমির লবণাক্ততাসহ ক্ষুদ্রায়তন দ্বীপমালা। মোট বনভূমির ৩১.১ শতাংশ, অর্থাৎ ১,৮৭৪ বর্গকিলোমিটার জুড়ে রয়েছে নদীনালা, খাঁড়ি, বিল মিলিয়ে জলাকীর্ণ অঞ্চল। বনভূমিটি, স্বনামে বিখ্যাত রয়েল বেঙ্গল টাইগার ছাড়াও নানান ধরণের পাখি, চিত্রা হরিণ, কুমির ও সাপসহ অসংখ্য প্রজাতির প্রাণীর আবাসস্থল হিসেবে পরিচিত। জরিপ মোতাবেক ১০৬ বাঘ ও ১০০০০০ থেকে ১৫০০০০ চিত্রা হরিণ রয়েছে এখন সুন্দরবন এলাকায়। ১৯৯২ সালের ২১শে মে সুন্দরবন রামসার স্থান হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে। সুন্দরবনে প্রতি বছর হাজার হাজার পর্যটক ঘুরতে আসে। দেশ-বিদেশের অসংখ্য পর্যটক সুন্দরবনের অপরূপ সৌন্দার্যে মুগ্ধ। সুন্দরবন ভিজিট করার মাধ্যমে তার প্রকৃতি থেকে বিভিন্ন জ্ঞান অর্জন করে।",
"সুন্দরবন জীবমণ্ডল সংরক্ষণ\nসুন্দরবন ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের একটি জাতীয় উদ্যান, ব্যাঘ্র প্রকল্প ও বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভ। বৃহত্তর সুন্দরবন সমুদ্র উপকূলবর্তী নোনা পরিবেশের সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বনভূমি হিসেবে অখন্ড বন যা বিশ্বে সর্ববৃহৎ। অববাহিকার সমুদ্রমূখী সীমানা এই বনভূমি গঙ্গা ও ব্রহ্মপুত্রের মোহনায় অবস্থিত এবং\nবাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে বিস্তৃত । ১০,০০০ বর্গ কিলোমিটার জুড়ে গড়ে ওঠা সুন্দরবনের প্রায় ৬,০০০ বর্গ কিলোমিটার রয়েছে বাংলাদেশে[২]। সুন্দরবন ১৯৯৭ সালে ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে স্বীকৃতি পায়। এর বাংলাদেশ ও ভারতীয় অংশ একই নিরবচ্ছিন্ন ভূমিরূপের অংশ হলেও ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের সূচিতে ভিন্ন ভিন্ন নামে সূচিবদ্ধ হয়েছে যথাক্রমে সুন্দরবন ও সুন্দরবন জাতীয় উদ্যান নামে। সুন্দরবনকে জালের মত জড়িয়ে রয়েছে সামুদ্রিক স্রোতধারা, কাদা চর এবং ম্যানগ্রোভ বনভূমির লবণাক্ততাসহ ছোট ছোট দ্বীপ । বনভূমিটি, স্বনামে বিখ্যাত রয়েল বেঙ্গল টাইগার ছাড়াও নানান ধরণের পাখি, চিত্রা হরিণ, কুমির ও সাপ সহ অসংখ্য প্রজাতির প্রাণীর আবাসস্থল হিসেবে পরিচিত। জরিপ মোতাবেক ৫০০ বাঘ ও ৩০,০০০ চিত্রা হরিণ রয়েছে এখন সুন্দরবন এলাকায়। ১৯৯২ সালের ২১শে মে সুন্দরবন রামসার স্থান হিসেবে স্বীকৃতি পায়।"
] | [
"সুন্দরবন জাতীয় উদ্যান\nসুন্দরবন জাতীয় উদ্যান ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার একটি জাতীয় উদ্যান, ব্যাঘ্র প্রকল্প ও বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভ। বৃহত্তর সুন্দরবন সমুদ্র উপকূলবর্তী নোনা পরিবেশের সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বনভূমি হিসেবে অখন্ড বন যা বিশ্বে সর্ববৃহৎ। অববাহিকার সমুদ্রমুখী সীমানা এই বনভূমি গঙ্গা ও ব্রহ্মপুত্রের মোহনায় অবস্থিত এবং বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে বিস্তৃত । ১০,০০০ বর্গ কিলোমিটার জুড়ে গড়ে ওঠা সুন্দরবনের প্রায় ৬,০১৭ বর্গ কিলোমিটার রয়েছে বাংলাদেশে। বঙ্গোপসাগরের ৭৫ মিটার উচ্চতা পর্যন্ত জোয়ার এখানে সবসময়ই দেখতে পাওয়া যায়। ১৮৭৮ সালে সুন্দরবনের বর্তমান ভারতীয় অংশটির সংরক্ষণের কাজ আরম্ভ হয়। ১৯৭৩ সালে মূল এলাকাটি সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্প হিসাবে ঘোষিত হয়। ১৯৭৭ সালে ২,৫৮,৫০০ হেক্টর আয়তন বিশিষ্ট সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের ১৩৩,০০০ হেক্টর মূল এলাকা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যের মর্যাদা পায়। ১৯৮৪ সালের ৪ মে’তে এটি জাতীয় উদ্যান হিসাবে ঘোষিত হয়। ১৯৮৭ সালে (ix) এবং (x) শ্রেণীতে প্রাকৃতিক সম্পত্তি হিসাবে এটি ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসাবে ঘোষিত হয়। এখানকার সজনেখালিতে, লুথিয়ান দ্বীপে ও হ্যালিডে দ্বীপে বর্তমানে আরও তিনটি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য গড়ে উঠেছে। এছাড়া, পাথরপ্রতিমার কাছে ভরতপুর কুমির প্রকল্প এবং সজনেখালিতে পাখিরালয় রয়েছে। ১৯৮৯ সালে সুন্দরবনের এই ভারতীয় অংশকে \"বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভ\" ঘোষণা করা হয়।",
"পশ্চিমবঙ্গ\nউদ্ভিজ্জভৌগোলিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণাঞ্চলকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়, যেমন: গাঙ্গেয় সমভূমি ও সুন্দরবনের লবনাক্ত ম্যানগ্রোভ অরণ্যভূমি। গাঙ্গেয় সমভূমির পললমৃত্তিকা এবং প্রচুর বৃষ্টিপাত এই অঞ্চলকে বিশেষভাবে উর্বর করে তুলেছে। রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চলের উদ্ভিদপ্রকৃতি পার্শ্ববর্তী রাজ্য ঝাড়খণ্ডের ছোটোনাগপুর মালভূমির উদ্ভিদপ্রকৃতির সমরূপ। এই অঞ্চলের প্রধান অর্থকরী বৃক্ষ হল শাল। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার উপকূলীয় অঞ্চলের উদ্ভিদপ্রকৃতি উপকূলীয় ধরনের। এই অঞ্চলের প্রধান বৃক্ষ হল ঝাউ। সুন্দরবন অঞ্চলের সর্বাপেক্ষা মূল্যবান বৃক্ষ সুন্দরী গাছ। এই গাছ এই অঞ্চলের সর্বত্র দেখতে পাওয়া যায় এবং সুন্দরবনের নামকরণও এই গাছের নামেই হয়েছে। উত্তরবঙ্গের উদ্ভিদপ্রকৃতির প্রধান তারতম্যের কারণ এই অঞ্চলের উচ্চতা ও বৃষ্টিপাত। উদাহরণস্বরূপ, হিমালয়ের পাদদেশে ডুয়ার্স অঞ্চলে ঘন শাল ও অন্যান্য ক্রান্তীয় চিরহরিৎ বৃক্ষের বন দেখা যায়। আবার ১০০০ মিটার উচ্চতায় উদ্ভিদের প্রকৃতি উপক্রান্তীয়। ১,৫০০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত দার্জিলিঙে ওক, কনিফার, রডোডেনড্রন প্রভৃতি গাছের নাতিশীতোষ্ণমণ্ডলীয় অরণ্য দেখা যায়।",
"পশ্চিমবঙ্গ\nসুন্দরবন বাঘ সংরক্ষণ প্রকল্পের জন্য বিখ্যাত। রাজ্যে মোট ছয়টি জাতীয় উদ্যান আছে — সুন্দরবন জাতীয় উদ্যান, বক্সা জাতীয় উদ্যান, গোরুমারা জাতীয় উদ্যান, নেওড়া উপত্যকা জাতীয় উদ্যান, সিঙ্গালীলা জাতীয় উদ্যান ও জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান। রাজ্যের অন্যান্য বন্যপ্রাণীর মধ্যে ভারতীয় গণ্ডার, এশীয় হাতি, হরিণ, বাইসন, চিতাবাঘ, গৌর ও কুমির উল্লেখযোগ্য। রাজ্যের পক্ষীজগৎও বৈচিত্র্যে পরিপূর্ণ। পরিযায়ী পাখিদের শীতকালে এ রাজ্যে আসতে দেখা যায়। সিঙ্গালীলা জাতীয় উদ্যানের মতো উচ্চ পার্বত্য বনভূমি অঞ্চলে বার্কিং ডিয়ার, রেড পান্ডা, চিঙ্কারা, টাকিন, সেরো, প্যাঙ্গোলিন, মিনিভেট, কালিজ ফেজান্ট প্রভৃতি বন্যপ্রাণীর সন্ধান মেলে। বেঙ্গল টাইগার ছাড়া সুন্দরবন অঞ্চলে গঙ্গা নদী শুশুক, নদী কচ্ছপ, স্বাদুজলের কুমির ও লোনা জলের কুমির প্রভৃতি বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির বন্যপ্রাণীও দেখা যায়। ম্যানগ্রোভ অরণ্য প্রাকৃতিক মৎস্য উৎপাদন কেন্দ্রের কাজও করে। এখানে বঙ্গোপসাগরের উপকূলীয় মাছ দেখা যায়।",
"পশ্চিমবঙ্গের সংরক্ষিত অঞ্চল\nপশ্চিমবঙ্গে মোট পাঁচটি জাতীয় উদ্যান ও দশটি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য রয়েছে।পশ্চিমবঙ্গের সংরক্ষিত অঞ্চলগুলিতে প্রাপ্ত বন্যপ্রাণীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য: ভারতীয় গণ্ডার, ভারতীয় হাতি, হরিণ, বাইসন, চিতাবাঘ, গৌর ও কুমির। এখানে প্রচুর পাখিও দেখা যায়। শীতকালে পরিযায়ী পাখিরা রাজ্যে ভিড় জমায়। সিঙ্গালীলা জাতীয় উদ্যানের মতো একটি উচ্চে অবস্থিত বনাঞ্চলে মায়া হরিণ, রেড পান্ডা, চিঙ্কারা, তাকিন, সেরো, বনরুই, মিনিভেট ও কালো মথুরা দেখা যায়। সুন্দরবনের বেঙ্গল টাইগার সহ গাঙ্গেয় নদী ডলফিন, নদী কচ্ছপ, স্বাদুপানির কুমির ও লোনা পানির কুমির পশ্চিমবঙ্গে প্রাপ্ত লুপ্তপ্রায় প্রজাতির জীবের অন্যতম। ম্যানগ্রোভ অরণ্য একটি স্বাভাবিক মৎস্য বিচরণ ক্ষেত্র, এখানে বঙ্গোপসাগরের সামুদ্রিক মাছেরাও বিচরণ করে।",
"সুন্দরবন\nসুন্দরবনে মৎস্যসম্পদকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়। সব মাছ মিলিয়ে হয় সাদা মাছ, বাকিরা বাগদা, গলদা, কাঁকড়া। আশির দশকে চিংড়ির পোনা ধরা শুরু হওয়ার পর মাছের প্রাচুর্য হঠাৎ কমে যায়। একসময় স্থানীয় জনসাধারণের প্রাণিজ প্রোটিন ৮০ শতাংশ মেটাতো মাছ। এখন মাছ খাওয়ার সৌভাগ্য এলাকার খুব কম লোকের ভাগ্যে জোটে। সুন্দরবনে কালা হাঙর, ইলশা কামট, ঠুঁটি কামট, কানুয়া কামট পাওয়া যায়। আগে এদের খালিশপুর এলাকা পর্যন্ত পাওয়া যেতো, এখন (২০১০) অনেক দক্ষিণে সরে গেছে। পশ্চিম সুন্দরবনে এদের উৎপাত বেশি। এরা সংখ্যায় অনেক কমে গেছে, বিশেষ করে কালা হাঙর প্রায় দেখাই যায় না। ৯ প্রজাতির শাঁকজ বা শাপলাপাতা মাছের অধিকাংশই এখন (২০১০) সুন্দরবনের খাঁড়ি এলাকায় দেখা যায় না।",
"সুন্দরবন জাতীয় উদ্যান\nকলকাতার শিয়ালদহের কাছে পুকুর খুঁড়ে প্রায় ৩০ ফুট নিচে সুন্দরী গাছের অনেক গুড়ি পাওয়া গিয়েছিল। মাতলার কাছে ১০-১২ ফুট মাটি খুঁড়ে একসময় দেখা গিয়েছে যে, একাধিক সুন্দরী গাছ কঙ্কালের মতো সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। এ থেকে বোঝা যায়, বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন প্রাকৃতিক কারণে এ অঞ্চলের মাটি বসে গিয়েছে; সেজন্য ঘরবাড়ি, মন্দির, মূর্তি, রাজপ্রাসাদ ইত্যাদি কোন চিহ্ন এখানে দীর্ঘস্থায়ী হয়নি, তার অধিকাংশই মাটির তলায় সমাধিস্থ।",
"বাংলাদেশের পর্যটন\nবাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম প্রান্তে অবস্থিত জীববৈচিত্র্যে ভরপুর পৃথিবীর সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবন। এই বনভূমি গঙ্গা ও রূপসা নদীর মোহনায় অবস্থিত সমুদ্র উপকূল তথা বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে বিস্তৃত। ২০০ বছর পূর্বে সুন্দরবনের প্রকৃত আয়তন ছিলো প্রায় ১৬,৭০০ বর্গ কিলোমিটার যা কমে এখন ১০,০০০ বর্গ কিলোমিটারে এসে ঠেকেছে। এই সুন্দরবনের ৬,০১৭ বর্গকিলোমিটার পড়েছে বাংলাদেশ সীমানায়। ১৯৯৭ সালে ইউনেস্কো সুন্দরবনকে বিশ্ব ঐতিহ্য বলে স্বীকৃতি দেয়ায় সুন্দরবন এখন বিশ্ব মানবতার সম্পদ। ধারনা করা হয় সুন্দরী গাছের নামানুসারেই সুন্দরবনের নাম করন হয়েছে। এই বনে সুন্দরী গাছ ছাড়াও, গেওয়া, কেওড়া, বাইন, পশুর, গড়ান, আমুরসহ ২৪৫ টি শ্রেণী এবং ৩৩৪ প্রজাতির গাছ রয়েছে। পৃথিবীতে মোট ৩টি ম্যানগ্রোভ বনের মধ্যে সুন্দরবন সর্ববৃহৎ। সুন্দরবনের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য ও জীব-বৈচিত্র্য দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আবহমান কাল ধরে আর্কষন করে আসছে। বিশেষ করে সুন্দরবনের রয়েল বেঙ্গল টাইগার, চিত্রা হরিণ, খালের পাড়ে শুয়ে থাকা কুমির এবং বানরের দল পর্যটকদের বেশি আকর্ষণ করে।",
"হিরণ পয়েন্ট\nহিরণ পয়েন্ট একটি অভয়ারণ্য হওয়ায় এই স্থান অনেক বাঘ, হরিণ, বানর, পাখি এবং সরিসৃপের নিরাপদ আবসস্থল। সুন্দরবন এলাকায় রয়েল বেঙ্গল টাইগার দেখার অন্যতম একটি স্থান হলো এই হিরণ পয়েন্ট। এখানে দেখা পাওয়া যায় চিত্রা হরিণ, বন্য শুকরের; পাখিদের মধ্যে আছে সাদা বুক মাছরাঙা, হলুদ বুক মাছরাঙা, কালোমাথা মাছরাঙা, লার্জ এগ্রেট, কাঁদা খোঁচা, ধ্যানী বক প্রভৃতি। এছাড়া আছে প্রচুর কাঁকড়ার আবাস। আর আছে রঙ-বেরঙের প্রজাপতি।"
] | 43 |
খিচুড়ি শব্দটির উৎপত্তি কোথা থেকে ? | [
"খিচুড়ি\nধারণা করা হয় বাংলা খিচুড়ি শব্দটি সংস্কৃত খিচ্চা থেকে এসেছে। অঞ্চলভেদে শব্দটির তৃতীয় ব্যঞ্জনবর্ণের উচ্চারণ ও ব্যবহারে পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়। বাঙালি পরিমন্ডলে খিচুড়ি উচ্চারণ করা হলেও কোথাও কোথাও খিচুরি বলতে শোনা যায়। হিন্দীভাষীরা ড় এবং উর্দুভাষীরা র ব্যবহার করে থাকেন খিচুড়ি উচ্চারণে।"
] | [
"খুংরিকাশি\nখুংরিকাশির ইংরেজি প্রতিশব্দ “ক্রুপ” (croup) শব্দটির উৎপত্তি আদি আধুনিক ইংরেজি ক্রিয়াপদ “ক্রুপ” থেকে, যার অর্থ “কর্কশ স্বরে কান্নাকাটি করা”; সর্বপ্রথম স্কটল্যান্ডে এই রোগের এই নামকরণ করা হয় এবং ১৮ শতাব্দীতে সর্বসাধারণের মধ্যে প্রচলিত হয়ে ওঠে৷ হোমার-এর প্রাচীন গ্রীস যুগ থেকে ডিপথেরিয়াজনিত খুংরিকাশির হদিশ জানা যায়৷ ১৮২৬ সালে, ব্রিটোনো ভাইরাসঘটিত খুংরিকাশি এবং ডিপথেরিয়াজনিত খুংরিকাশির মধ্যে প্রভেদের উল্লেখ করেন৷ ফরাসীরা ভাইরাসঘটিত খুরিকাশিকে “ফো ক্রুপ” নামে অভিহিত করত, তারা “ক্রুপ” বলতে ডিপথেরিয়া ব্যাক্টেরিয়াঘটিত রোগ বোঝাত৷ ফলপ্রসূটিকা আবিষ্কার হওয়ার পর থেকে ডিপথেরিয়ার ফলে খুংরিকাশি প্রায় দেখাই যায় না৷",
"খোকসা উপজেলা\nখোকসা নামের উৎপত্তি কোথা থেকে তার সঠিক কোন ইতিহাস এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।\nতবে যতদুর শোনা যায় খোকা শাহ নামের এক সাধকের নাম থেকে খোকসা নামের উৎপত্তি হয়েছে। আবার কারও কারও মতে খোকসা নামক গাছের থেকে খোকসা নামের উৎপত্তি। তবে এ এলাকা থেকে এ গাছ অনেক আগেই বিলুপ্ত হলেও বর্তমান রংপুর অঞ্চলের কিছু কিছু এলাকায় খোকসা নামক গাছ এখনও আছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে।\nখোকসা উপজেলায় ২টি নদী রয়েছে। নদী ২টি হচ্ছে গড়াই নদী ও সিরাজপুর হাওর নদী।",
"শ্যাম্পু\n১৭৬২ সালের দিকে, হিন্দি শব্দ \"চাম্পু\" (चाँपो) থেকে ইংরেজি \"শ্যাম্পু\" শব্দটির উৎপত্তি ঘটে। হিন্দি শব্দটির দ্বারা তেল বা তৈলাক্ত কোনো বস্তুর দ্বারা মাথা ম্যাসেজ করাকে বোঝানো হতো। এ ধরনের শব্দের প্রচলন উত্তর ভারতের বিভিন্ন ভাষাতেও প্রচলিত ছিলো। এই শব্দটি এবং মাথা ম্যাসেজের এই পদ্ধতিটি সর্বপ্রথম ব্রিটেনে পরিচয় করিয়ে দেন বাঙালি উদ্যোক্তা শেখ দীন মুহাম্মদ। ১৮০০ দশকের শুরুর দিকে দ্বীন মোহাম্মদই স্টিম বাথের প্রচলন ঘটান। পরবর্তীতে তিনি তাঁর আইরিশ স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে একসাথে লন্ডনে \"মোহাম্মদ'স স্টিম অ্যান্ড ভ্যাপোর সি ওয়াটার মেডিকেটেড বাথস\" নামে ইংল্যান্ডের ব্রাইটনে একটি পার্লার খোলেন। সেখানে গ্রাহকরা টার্কিশ বাথের মতো গোসলের সুবিধা ও চুলের যত্নে ভারতীয় চাম্পি (শ্যাম্পুয়িং) পদ্ধতি গ্রহণ করতেন। সেসময় এক প্রকার থেরাপিমূলক ম্যাসেজ হিসেবে চাম্পি ব্যবহৃত হতো। দ্বীন মোহাম্মদ রাজা চতুর্থ জর্জ ও চতুর্থ উইলিয়ামের 'শ্যাম্পু সার্জন' হিসেবেও নিয়োগ পেয়েছিলেন।",
"চিড়িয়াখানা\nবাংলা চিড়িয়া বা পশু, জন্তু জানোয়ার থেকে চিড়িয়াখানা শব্দটির উৎপত্তি। ইংরেজি zoo শব্দটি গ্রীক শব্দ zōon থেকে এসেছে। যার অর্থ পশুপখি।\nখ্রিষ্টপূর্ব ৩৫০০ অব্দে প্রাচীন মিশরে চিড়িয়াখানার অস্তিত্ব ছিল। খ্রিষ্টপূর্ব ২য় শতকে চীনে চিড়িয়াখানার প্রমান পাওয়া যায়। ১২০৪ সালে ইংল্যান্ডে প্রথম চিড়িয়া খানা গড়ে উঠে।",
"হাওড়া জেলা\n\"হাওড়া\" নামটির বুৎপত্তি নিয়ে মতান্তর রয়েছে। একটি মতে, বর্তমান হাওড়া শহরের অদূরে অষ্টাদশ শতাব্দীর প্রথম ভাগে হাড়িড়া নামে একটি গ্রামের অস্তিত্ব ছিল; \"হাওড়া\" নামটি এই \"হাড়িড়া\" নামেরই অপভ্রংশ। অন্যমতে, \"হাওড়া\" নামটির উৎপত্তি \"হাবড়\" শব্দটি থেকে; যার অর্থ \"যেখানে পাঁক ও কাদা বেশি হয়\"। আবার কেউ কেউ মনে করেন, \"হাওড়া\" শব্দটির অর্থ \"যে নিচু বা অবনত অঞ্চলে বর্ষার জল সঞ্চিত হয়\"। হাওড়ার ভূমিরূপ এই জাতীয় ছিল বলে অঞ্চলটির এইরূপ নামকরণ হয়। ভাষাতাত্ত্বিক সুকুমার সেনের মতে, \"হাওড়া\" শব্দটি একটি ধ্বন্যাত্মক শব্দ থেকে ব্যুৎপন্ন হয়েছে; এর অর্থ \"যেখানে কেবল জল-কাদা\"। হাওড়া জেলার নামকরণ করা হয়েছে জেলার জেলাসদরের নামে।",
"বিলাইছড়ি উপজেলা\n\"বিলাইছড়ি\" চাকমা শব্দ থেকে উৎপত্তি। চাকমা উপজাতীয় অর্থে \"বিলাই\" এর অর্থ বিড়াল আর \"ছড়ি\" এর অর্থ পাহাড় হতে প্রাবাহিত ঝর্ণা বা ছড়া। বিলাইছড়ি নামের সম্পর্কে নির্ভরযোগ্য সঠিক তথ্য পাওয়া না গেলেও এলাকার বয়ো বৃদ্ধদের মতে বহু বছর পূর্বে এ এলাকা অরণ্য ঘেরা ছিল। একদিন কিছু সংখ্যক পাহাড়ী লোক কাঠ কাটার উদ্দেশ্যে এ এলাকায় আসে এবং সে সময়ে এক বিরাট বন বিড়ালের মুখোমুখি হয়। বিড়ালের ভাবমূর্তি হিংস্র মনে করে তারা তাকে তাড়াবার চেষ্টা করলে বিড়ালটিও তাদেরকে আক্রমণ করে এবং উভয়ের মধ্যে ধস্তাধিস্ত শুরু হয়। শেষ পর্যায়ে বিড়ালটিকে মেরে ফেলা হয়। পরে এই বিড়ালটিকে পাড়ায় নিয়ে আসা হয়। পাড়া প্রতিবেশীরা এতবড় বন বিড়াল দেখে আশ্চর্য হয় এবং বিরাট সামাজিক অনুষ্ঠান করা হয়। এরপর থেকেই এলাকাটি বিলাইছড়ি নামে আখ্যায়িত হয়।",
"খিচড়া\nখিচড়া হচ্ছে হালীম জাতীয় খাবার যা মাংস দিয়ে তৈরী হয় অন্যদিকে খিচুড়ি হচ্ছে নিরামিষভোজী খাবার যা ভাত এবং ডাল দিয়ে তৈরী হয়। তবে বর্তমান সময়ে গরু, মুরগী, খাসির মাংস দিয়েও খিচুড়ি রান্না করা যা ভুনা খিচুড়ি নামে সমধিক পরিচিত। এছাড়া রেস্টুরেন্ট সমূহে কড়াই খিচুড়ি সহ একাধিক খিচুড়ি আইটেম পাওয়া যায়।",
"নকশি কাঁথা\nকাঁথা শব্দটির কোন উৎস স্পষ্টভাবে জানা যায় নি। সঠিকভাবে জানা না গেলেও ধারণা করা হয় কাঁথা শব্দটি পূর্বে উচ্চারিত হত \"খেতা\" বলে। বাংলায় ধানের ক্ষেতকে অনেক সময় \"খেত\" বলা হয়।\nনিয়াজ জামানের মতে, কাঁথা শব্দটি উৎপত্তি হয়েছে সংস্কৃতি শব্দ \"কঁথা\" হতে। \"কঁথা\" শব্দটির বাংলা হলো ত্যানা। বা কাপড়ের টুকরা।",
"আরকেবুসে\nশব্দটির মূল উৎপত্তি জার্মান শব্দ \"হাকেনব্যুখসে\" (\"Hakenbüchse\") থেকে। এই ধরনের বন্দুকে একটি লোহার ব্যারেল (\"Büchse\" \"ব্যুখসে\") ও তার তলায় একটি ধরবার হুকাকৃতি আঁকশি (\"Haken\" \"হাকেন\") ব্যবহৃত বলেই তার এই নাম। এই নামটিই ফরাসি ভাষায় খানিকটা বিকৃত হয়ে কিছুটা মজার ছলে \"আরকেবুস\" বলে উচ্চারিত হত। তার থেকেই স্পেনীয় ও অন্যান্য ভাষায় আরকেবুস বা আরকেবুসে শব্দটির উৎপত্তি। যাইহোক, পরবর্তীকালে আরকেবুসে ও হাকেনব্যুখসে শব্দদু'টি মোটামুটি সমার্থক থাকলেও তাদের অর্থে কিছু পার্থক্যও পরিলক্ষিত হয়। কারণ প্রথম দিকের ভারী বাঁটযুক্ত অস্ত্রগুলির ক্ষেত্রে হাকেনব্যুখসে শব্দটি বেশি ব্যবহার হতে থাকে, কিন্তু পরবর্তীকালে তৈরি হালকা হাতে বহনযোগ্য অস্ত্রগুলিকে আরকেবুসে নামেই বেশি অভিহিত করা শুরু হয়। মজার বিষয় হল, যে আঁকশি বা \"হাকেন\" থেকে এই দুই নামের উৎপত্তি, পরবর্তীকালের হালকা আরকেবুসেগুলিতে সেই আঁকশিগুলিই আর ছিল না। কিন্তু আরকেবুসে নামটিই চলতে থাকে। অবশ্য এর কিছু অন্য নামও চালু হয়েছিল। যেমন ইংরেজিতে \"ক্যালিভার\" (caliver) শব্দটি অনেকসময়ই এর একটি প্রতিশব্দ হিসেবে ব্যবহৃত হত।"
] | 61 |
বর্তমানে বাংলাদেশে কোন রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় রয়েছে ? | [
"বাংলাদেশ সরকার\nবাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী হলেন শেখ হাসিনা, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী, যিনি ২৯শে ডিসেম্বর ২০০৮ এর সাধারণ নির্বাচনে বিজয়ের ফলাফলস্বরূপ ২০০৯-এর ৬ জানুয়ারি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিযুক্ত হন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তার দ্বারা পরিচালিত হয় এবং এবং এর ১৪ দলীয় মহাজোট দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠ সংসদ সদস্য পদলাভের মাধ্যমে বিজয় লাভ করে এবং সাংখ্যিকভাবে ২৯৯ টি আসনের মাঝে ২৩০ টি আসন এই দলের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।",
"২০০৬-০৮ বাংলাদেশী রাজনৈতিক সংকট\n২০০৬-০৮ বাংলাদেশি রাজনৈতিক সংকটের শুরু হয়েছিল ২০০৬ সালের অক্টোবরের শেষের দিকে যখন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-এর সরকারের মেয়াদ শেষে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করে। তৎকালীন সংবিধান অনুসারে, কোন দল ক্ষমতা হস্তান্তরের ৯০ দিন পর জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং মধ্যবর্তী ৯০ দিন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় থেকে নির্বাচনী প্রক্রিয়া তদারকি করবে ও এর অধীনেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। রাজনৈতিক সংকট শুরু হয় তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদকে তত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগের মাধ্যমে কারণ রাজনৈতিক দলগুলো অন্য পাঁচজন প্রার্থীর ব্যাপারে একমত হতে পারেনি। এই অন্তবর্তী সরকারের সূচনা হয় সংহিস বিক্ষোভের মধ্য দিয়ে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বিক্ষোভ শুরু করে এবং প্রথম মাসেই ৪০ জন নিহত হয় ও শতশত আহত হয়। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলেরও এই প্রক্রিয়া ও বিরোধীদের বিরোদ্ধে অভিযোগ ছিল।"
] | [
"বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলসমূহের তালিকা\nবাংলাদেশে প্রধানত দ্বিদলীয় শাসনব্যবস্থা বিরাজমান। অর্থাৎ, দুই দলের বাইরে অন্য কোনো দলের নামে নির্বাচনে জয়লাভ কারো পক্ষে অত্যন্ত কঠিন। এখানে দুদলই পালাক্রমে দেশ শাসন করে থাকে। রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের ক্ষেত্রে সমস্যা দেশের অন্যতম নিয়তি। তাছাড়া বর্তমানে কমিউনিস্ট দলগুলো জোটবদ্ধ হয়ে বিভিন্ন ইস্যুতে গণআন্দোলন করছে। এছাড়া এখানে অনেকগুলো দল মিলে জোট করার ব্যাপার লক্ষ্যণীয়।",
"বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি\nবাংলাদেশ জাতীয় পার্টি বা বিজেপি বাংলাদেশের একটি রাজনৈতিক দল। নাজিউর রহমান মঞ্জুরের নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় দলটি জাতীয় পার্টি (নাজিউর) নামেও পরিচিত। মূল দল জাতীয় পার্টি হতে বিভক্ত এই দলটি ২০০১ সালে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচনে চার দলীয় জোটের অংশ হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে ৪ টি আসন লাভ করে এবং সংখ্যাগরিষ্ঠ হিসেবে সরকার গঠন করে। ২০০৯ সালের সর্বশেষ নির্বাচনে দলটির বর্তমান চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ ভোলা থেকে নির্বাচিত হন।",
"বিকল্পধারা বাংলাদেশ\nবিকল্পধারা বাংলাদেশ হচ্ছে বাংলাদেশের একটি রাজনৈতিক দল যেটি সাবেক প্রেসিডেন্ট ও বিএনপি সাংসদ ড. একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী ২০০৪ সালে গঠন করেন। ঘটনাক্রমে, ড. বি. চৌধুরী ছিলেন বিএনপিরও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং তিনি বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত হয়েছিলেন। নির্বাচনের সময় এই পার্টির প্রতীক হচ্ছে \"কুলা\", একটি হাতে বানানো ধানঝাড়ুনি পাখা। মৈত্রীর ক্ষেত্রে এটির বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থান অস্পষ্ট এবং জাতীয় সংসদে কোনো আসন নেই।",
"ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (বাংলাদেশ)\nন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি) বাংলাদেশের একটি রাজনৈতিক দল। জাতীয় পার্র্টির সাবেক নেতা শওকত হোসেন নিলুর নেতৃত্বে ১৯ জুলাই ২০০৭ সালে এই রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ ঘটে। দলটি বর্তমানে দুইটি অংশে বিভক্ত। একটি বিশ দলীয় জোটের শরিক অপরটি এনডিএফ নামে নতুন জোটের নেতৃত্ব দিচ্ছে।",
"তারেক রহমান\n২০০২ সালে ৩৫ বছর বয়সী তারেক রহমানকে দলের সর্বোচ্চ পর্যায়ের একজন নেতা হিসেবে দায়িত্ব দেয়ার ফলে কোন কোন রাজনৈতিক বিশ্লেষক এবং সংসদের তৎকালীন বিরোধী দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ এই সিদ্ধান্তকে স্বজনপ্রীতি বলে চিহ্নিত করে এই সিদ্ধান্তের নিন্দা করেন। বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ যারা ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিরোধী দলের দায়িত্ব পালন করেছিল, দলটির শীর্ষ নেতৃবৃন্দ এবং কিছু সংবাদপত্রের প্রকাশিত খবরে বিভিন্ন সময় তারেকের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারসহ দূর্নীতির অভিযোগ আনে। বিশেষ করে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম জিয়া সহ তারেক রহমানের কার্যালয় ঢাকার বনানীস্থ হাওয়া ভবনকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন অভিযোগ প্রচারিত হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য অভিযোগ ছিল যে, তারেক রহমানের তত্ত্বাবধানে হাওয়া ভবন সরকারের অদৃশ্য নিয়ন্ত্রক হিসেবে কাজ করছে এবং তার বিরুদ্ধে বিদ্যুৎ খাতে দুর্নীতিসহ আরো অনেক অভিযোগ আনা হয়। বর্তমানে ২১শে অগাস্ট তৎকালীন বিরোধীদল আওয়ামীলীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলায় তার সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ উচ্চ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে বিদেশে অর্থপাচারের অভিযোগও রয়েছে এবং এই মামলায় এফবিআই এর কর্মকর্তা ডেবরা লাপ্রেভেটি বাংলাদেশে এসে সাক্ষ্য দেন।",
"বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ\nবাংলাদেশ আওয়ামী লীগ () বাংলাদেশের একটি ঐতিহ্যবাহী এবং বর্তমান ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল। এই রাজনৈতিক দলটির গোড়াপত্তন হয় ২৩ জুন ১৯৪৯ খ্রিস্টাব্দে পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে। পরবর্তী কালে এর নাম ছিল নিখিল পাকিস্তান আওয়ামী লীগ। ১৯৭০ সাল থেকে এর নির্বাচনী প্রতীক নৌকা। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ১৯৭১ সালে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পর এই সংগঠনটির নামাকরণ করা হয় \"বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ\"।",
"বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি\nবাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি বাংলাদেশের একটি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল। এর প্রতিষ্ঠাতা জেনারেল মুহাম্মদ ইব্রাহিম বীর প্রতীক। তিনি বর্তমানে দলটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন। দলটি বিশ দলীয় জোটের একটি শরীক দল",
"ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ\nইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ বাংলাদেশের একটি ধর্ম-ভিত্তিক রাজনৈতিক দল। ১৯৮৭ সালে ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন নামে প্রতিষ্ঠিত হলেও বর্তমানে নির্বাচন কমিশনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নামেই নিবন্ধিত দলটি। এর নির্বাচনী প্রতীক হাতপাখা। এই দলটির বর্তমান প্রধান হচ্ছেন চরমোনাইয়ের পীর মাওলানা সৈয়দ রেজাউল করীম।",
"বাংলাদেশ\nবাংলাদেশের সংবিধান ১৯৭২ খ্রিস্টাব্দে প্রণীত হয়। পরবর্তীতে ২০১৫ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত সর্বমোট ১৬টি সংশোধনী আনা হয়েছে। বর্তমান সংবিধান অনুযায়ী বাংলাদেশে সংসদীয় গণতন্ত্র ব্যবস্থার সরকার পদ্ধতি প্রচলিত। রাষ্ট্রযন্ত্রের তিনটি শাখা: সংসদ, প্রশাসন এবং বিচার ব্যবস্থা। বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ এক কক্ষবিশিষ্ট। এতে জনগণের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত ৩০০ জন সদস্য ছাড়াও নারীদের জন্য ৫০টি সংরক্ষিত আসন আছে। প্রতিটি সংসদের নির্ধারিত মেয়াদকাল ৫ বছর। বাংলাদেশের প্রধান দুইটি রাজনৈতিক দল হল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল। এছাড়াও, জাতীয় পার্টি রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। ১৮ বছর বা তদুর্ধ্ব সব নাগরিকের ভোটাধিকার রয়েছে।"
] | 23 |
জরায়ুমুখ ক্যান্সারের জন্য কোন ভাইরাস দায়ী ? | [
"জরায়ুমুখ ক্যান্সার\nসাধারণত ১০ বছর বয়সের পর থেকেই জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধক টিকা নেয়া যায়। মোট তিন ডোজ টিকা নিতে হয় – প্রথম ডোজের এক মাস পর দ্বিতীয় ডোজ এবং প্রথম ডোজের ছয় মাস পর তৃতীয় ডোজ টিকা নিতে হয়। টিকা গ্রহণের পাশাপাশি নিয়মিত পরীক্ষা করালে জরায়ুমুখ ক্যান্সারের আক্রমণ হার কমিয়ে আনা যায়। ভাইরাস এইচপিভি-১৬, এইচপিভি-১৮, এইচপিভি-৬, এইচপিভি-১১-এর প্রতিরোধক টিকা আবিষ্কৃত হয়েছে। আমেরিকার ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) নিয়মানুযায়ী নয় থেকে ২৫ বছর বয়সে এ টিকা কার্যকর হয়। গর্ভাবস্থায় এ টিকা প্রদানের অনুমোদন নেই। আক্রান্ত হয়ে ক্যান্সার সংঘটনের পর এই টিকা আর কোনো কাজে আসে না।",
"এইচআইভি/এইডসের ইতিহাস\nএইচআইভির আবিষ্কাররে গ্যালো নাকি মন্টাগ্নিয়ের কার বেশি অবদান এ নিয়ে বিপুল বিতর্ক রয়েছে। ফ্রান্সিস্কো ব্যারে সিনৌসি সহ ২০০৮ সালে মন্টাগনিয়ের \"এইচআইভি আবিষ্কারের জন্য\" চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেল পদক লাভ করেন।জরায়ুমুখ ক্যান্সারের জন্য দায়ী হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস আবিষ্কারের জন্য হারাল্ড ৎসুর হাউজেন সেই বছর পদকটির অংশীদার হন। তবে গ্যালোকে এক্ষেত্রে সম্মাননা দেয়া হয়নি। গ্যালোর মতে অন্যদের সাথে নোবেল পদকে সহ-সম্মাননা না পাওয়া \"হতাশাজনক\" ছিল। অপরদিকে মন্টাগনিয়ে নোবেল কমিটির এই সিদ্ধান্তে বিস্মিত হন এবং রবার্ট গ্যালোর জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন।\nএইডসের উদ্ভবের ব্যাপারে অন্য আরেকটি প্রকল্পের প্রস্তাবনা করা হয়েছে। এইডস অস্বীকারকারীদের মতে এইচআইভি বা এইডসের কোন অস্তিত্ব নেই অথবা এইচআইভি এইডসের কারণ নয়। এই মতবাদের বিশ্বাসীরা মনে করেন, এইডস জীবনধারার কারণে হয়। তাদের মতে এইচআইভি নয় বরং যৌনতা অথবা মাদকগ্রহণ ইত্যাদিকে এইডসের কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। কিছু ষড়যন্ত্র তত্ত্ব মোতাবেক হিসেবে এইচআইভি পরীক্ষাগারে তৈরি এক ধরনের জৈবঅস্ত্র। খুব সম্ভবত গণহত্যার উদ্দেশ্যে অথবা দূর্ঘটনার ফলে এই ভাইরাস তৈরি। এই প্রকল্পগুলো বিজ্ঞান মহলের দ্বারা বাতিল হয়েছে। সাধারণভাবে প্যাথলজিস্টরা মেনে নিয়েছেন, \" এইচআইভি যে এইডস রোগের কারণ তা বৈজ্ঞানিকভাবেই প্রমাণিত\" , এবং তথাকথিত বৈজ্ঞানিক বিতর্কের যে কুতর্ক প্রচলিত আছে, তা মেয়াদোত্তীর্ণ তথ্যের ভুল ও মিথ্যে বর্ননা।",
"জরায়ুমুখ ক্যান্সার\n২০ বছরের কম বয়সীদের নিচে এ রোগ সাধারণত হয় না। আক্রান্তরা সাধারণত ৩৫ থেকে ৫৫ বছর বয়সী হয়ে থাকেন। ৬০ বছরের পরও এ রোগ হতে পারে, তবে সংখ্যা তুলনামূলক কম। উপযুক্ত চিকিৎসায় শতভাগ আরোগ্য সম্ভব। হিউম্যান পেপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি) হিউম্যান পেপিলোমা বা এইচপি ভাইরাস জরায়ুমুখের ক্যানসারের একটি অন্যতম কারণ, তবে এটি একমাত্র কারণ নয়। যৌন সংযোগে এর সংক্রমণ ঘটে। সংক্রমণের এক যুগেরও বেশি সময় ধরে জরায়ুমুখের স্বাভাবিক কোষ পরিবর্তিত হতে থাকে এবং একসময় তা ক্যান্সারে রূপ নেয়। এযাবৎ (প্রেক্ষিত ২০১০) ১০০ ধরণের এইচপি ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে, যার বেশিরভাগই জরায়ু ক্যান্সারের জন্য অতোটা ঝুঁকিপূর্ণ নয়। তবে এইচপিভি-১৬, এইচপিভি ১৮, এইচপিভি-৬, এইচপিভি-১১ সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। স্বাভাবিক জীবনযাপনে অভ্যস্ত নারীদের জরায়ু প্রায়ই এইচপি ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হয়ে থাকে। এতে কোনো উপসর্গ থাকে না বা শারীরিক পরীক্ষায় কোনো চিহ্ন বা ক্ষত পাওয়া যায় না। এর জন্য কোনো চিকিৎসারও প্রয়োজন নেই। শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতাবলে ১৮-২৪ মাসের মধ্যে জরায়ু প্রায় সব এইচপি ভাইরাস থেকে মুক্ত হয়ে যায়। জরায়ুতে এইচপি ভাইরাস দীর্ঘদিন স্থায়ী হলে, জরায়ু কোষে পরিবর্তনের সূত্রপাত হয় এবং ধীরে ধীরে তা ক্যান্সারে রূপ নেয়।"
] | [
"ডিএনএ ভাইরাস\nএকটি ডিএনএ ভাইরাস এমন একটি ভাইরাস যা ডিএনএ হিসাবে তার জিনগত উপাদান এবং একটি ডিএনএ-নির্ভর ডিএনএ পলিমারেজ ব্যবহার করে প্রতিলিপি করে। নিউক্লিক অ্যাসিডটি সাধারণত ডিএনএ-ডিএনএ (ডিএসডিএনএ) দ্বারা বিভক্ত, তবে এটি একক-অচল ডিএনএ (এসএসডিএনএ) হতে পারে। ডিএনএ ভাইরাস ভাইরাসগুলির জন্য বাল্টিমোর শ্রেণীবিভাজন ব্যবস্থার গ্রুপ-I বা গ্রুপ-II এর সাথে সম্পর্কিত। সংক্রমিত কোষগুলির মধ্যে দ্বিগুণ ফাঁকা স্থানে একক-দুর্ভিক্ষের ডিএনএ সাধারণত প্রসারিত হয়। যদিও হেপাটাইটিস বি হিসাবে গ্রুপ-VII ভাইরাসটি একটি ডিএনএ জিনোম ধারণ করে, তবে বাল্টিমোর শ্রেণিবিন্যাস অনুযায়ী ডিএনএ ভাইরাসটি বিবেচিত হয় না, বরং লিপিবদ্ধকারী ভাইরাসগুলিকে বিপরীত করে দেয় কারণ তারা একটি RNA অন্তর্বর্তী মাধ্যমে প্রতিলিপি করে। যেমন ডিএনএ ভাইরাস দ্বারা স্মলপক্স, হারপস এবং মুরগি পোকামাকড়ের মতো উল্লেখযোগ্য রোগের সৃষ্টি হয়।",
"খুংরিকাশি\n৭৫% ক্ষেত্রে খুংরিকাশির জন্য মূলত টাইপ ১ এবং ২ প্যারাইনপ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস দায়ী হয়৷ কখনও কখনও অন্যান্য ভাইরাসের ফলেও খুংরিকাশি হতে পারে, যথা ইনফ্লুয়েঞ্জা এ ও বি, হাম, অ্যাডেনোভাইরাস এবং রেসপিরেটারি সিনসিশিয়াল ভাইরাস (আরএসভি)৷ তীব্র ল্যারিঞ্জোট্র্যাকিয়াইটিসের জন্য যে শ্রেণীর ভাইরাস দায়ী সেই একই শ্রেণীর ভাইরাসের ফলে আকস্মিক খুংরিকাশি (খকখক কাশিসহ খুংরিকাশি) হয়, তবে তাতে সংক্রমণের পরিচিত লক্ষণগুলি (যেমন জ্বর, গলা ব্যথা, এবং শ্বেত রক্তকণিকা সংখ্যা)র বৃদ্ধি থাকে না৷ উভয় ক্ষেত্রে একই ধরণের চিকিৎসা করা হয়, এবং চিকিৎসার প্রতিক্রিয়া অনুরূপ হয়৷",
"জরায়ুমুখ ক্যান্সার\nজরায়ুমুখ ক্যান্সার ১৫-৪৫ বছর বয়সের নারীদের মধ্যে বেশি দেখা যায়, কিন্তু ক্যান্সারের লক্ষণ প্রকাশের প্রায় ২ থেকে ২০ বছর আগেই একজন নারী এ রোগের ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হন। তবে সচেতনতার মাধ্যমে এই রোগ প্রতিরোধ করা যায়। সাধারণত অনুন্নত ও উন্নয়নশীল দেশের নারীরা স্বাস্থ্য বিষয়ে সম্পূর্ণ সচেতন না বলে এই রোগের বিস্তার বেশি। তবে উন্নত দেশের নারীরা এবিষয়ে সচেতন এবং উন্নত জীবনযাপনের কারণে অনেকটাই এই রোগ থেকে নিরাপদ। জরায়ু-মুখ ক্যান্সার শনাক্ত করার জন্য ‘পেপস স্মেয়ার টেস্ট’ রয়েছে, যা উন্নত দেশের নারীরা দ্বিধাহীনভাবে গ্রহণ করতে পারেন, যা অনুন্নত দেশে গ্রহণ করতে অনেক পারিবারিক ও সামাজিক বাধা রয়েছে।",
"কম্পিউটার ভাইরাস\nকম্পিউটার ভাইরাস হল এক ধরনের কম্পিউটার প্রোগ্রাম যা ব্যবহারকারীর অনুমতি বা ধারণা ছাড়াই নিজে নিজেই কপি হতে পারে। \nমেটামর্ফিক ভাইরাসের মত তারা প্রকৃত ভাইরাসটি কপিগুলোকে পরিবর্তিত করতে পারে অথবা কপিগুলো নিজেরাই পরিবর্তিত হতে পারে। একটি \nভাইরাস এক কম্পিউটার থেকে অপর কম্পিউটারে যেতে পারে কেবলমাত্র যখন আক্রান্ত কম্পিউটারকে স্বাভাবিক কম্পিউটারটির কাছে নিয়ে যাওয়া \nহয়। যেমন: কোন ব্যবহারকারী ভাইরাসটিকে একটি নেট ওয়ার্কের মাধ্যমে পাঠাতে পারে বা কোন বহনযোগ্য মাধ্যম যথা ফ্লপি ডিস্ক, সিডি, ইউএসবি ড্রাইভ বা ইণ্টারনেটের মাধ্যমে ছড়াতে পারে। এছাড়াও ভাইরাসসমূহ কোন নেট ওয়ার্ক ফাইল সিস্টেমকে আক্রান্ত করতে পারে, যার ফলে অন্যান্য কম্পিউটার যা ঐ সিস্টেমটি ব্যবহার করে সেগুলো আক্রান্ত হতে পারে। ভাইরাসকে কখনো কম্পিউটার ওয়ার্ম ও ট্রোজান হর্সেস এর সাথে মিলিয়ে ফেলা হয়। ট্রোজান হর্স হল একটি ফাইল যা এক্সিকিউটেড হবার আগ পর্যন্ত ক্ষতিহীন থাকে।\nবর্তমানে অনেক পার্সোনাল কম্পিউটার (পিসি) ইণ্টারনেট ও লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্কের সাথে যুক্ত থাকে যা ক্ষতিকর কোড ছড়াতে \nসাহায্য করে। ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব, ই-মেইল ও কম্পিউটার ফাইল শেয়ারিং এর মাধ্যমে ভাইরাস সংক্রমন ঘটতে পারে। কিছু ভাইরাসকে তৈরি করা হয় প্রোগ্রাম ধ্বংশ করা, ফাইল মুছে ফেলা বা হার্ড ডিস্ক পূণর্গঠনের মাধ্যমে কম্পিউটারকে ধ্বংশ করার মাধ্যমে। অনেক ভাইরাস কম্পিউটারের সরাসরি কোন ক্ষতি না করলেও নিজেদের অসংখ্য কপি তৈরি করে যা লেখা, ভিডিও বা অডি ও বার্তার মাধ্যমে তাদের উপস্থিতির বহিঃপ্রকাশ ঘটায়। নিরীহ দর্শন এই ভাইরাসগুলোও ব্যবহারকারীর অনেক সমস্যা তৈরি করতে পারে। এগুলো \nস্বাভাবিক প্রোগ্রামগুলোর প্রয়োজনীয় মেমোরি দখল করে। বেশ কিছু ভাইরাস বাগ তৈরি করে, যার ফলশ্রুতিতে সিস্টেম ক্র্যাশ বা তথ্য \nহারানোর সম্ভাবনা থাকে।",
"বোধি লিনাক্স\nবোধি লিনাক্সের ন্যূনতম সিস্টেম রিকোয়ারমেন্ট হলো ১২৮ এমবি র্যাম, ২জিবি খালি জায়গা হার্ড \nডিস্কে এবং ৩০০ মেগাহার্টজ প্রসেসর। পিজিক্যাল এড্রেস এক্সপ্যানশান সাপোর্ট করা বা না করা উভয় ৩২ বিট প্রসেসরই একইভাবে সাপোর্ট করে। দুটো বোধি সংস্করণের মূল তফাৎ হলো, একটিতে তূলনামূলক পুরোনো লিনাক্স কার্নেল সংস্করণ ব্যবহার করা হয়। এনলাইটেনমেন্ট ডিআর১৭-ভিত্তিক ফোর্ক মকশা ডেস্কটপ ব্যবহারের মাধ্যমে হাই-এন্ড কম্পিউটার হার্ডওয়্যার ছাড়াই উন্নত ডেস্কটপ এফেক্ট ও এনিমেশন প্রদান করে। এনলাইটেনমেন্ট উইন্ডো ম্যানেজার ও শুধুমাত্র বোধি লিনাক্সের জন্যে উন্নীত হাতিয়ারগুলো সি ও পাইথনে লেখা।",
"ডিজিটাল সিগন্যাল প্রসেসর\nটেক্সাস ইন্সট্রুমেন্টস সি৬০০০ সিরিজএর ডিএসপি তৈরি করে, যা ১.২ গিগাহার্জ গতির এবং আলাদা নির্দেশ ও ডেটা ক্যাশে প্রয়োগ করে। তাদের একটি ৮ মেগাবাইট দ্বিতীয় স্তর ক্যাশ এবং ৬৪ ইডিএমএ চ্যানেল রয়েছে। উপরের মডেলটি ৮০০০ টি এমওপি (প্রতি সেকেন্ডে নির্দেশাবলী) সক্ষম, ভিএলআইডব্লিও (খুব দীর্ঘ নির্দেশনা শব্দ) ব্যবহার করে প্রতি চক্রের আটটি অপারেশন করে এবং বহিরাগত বহিরাগত এবং বিভিন্ন বাসগুলির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয় (PCI / সিরিয়াল / ইত্যাদি)। টিএমএস ৩২০ সি ৬৪৭৪ চিপসের প্রতিটিতে তিনটি ডিএসপি রয়েছে এবং নতুন প্রজন্মের সি ৬০০০ চিপগুলি ফ্লোটিং পয়েন্ট এবং ফিক্সড পয়েন্ট প্রসেসিং সমর্থন করে।"
] | 16 |
ফারাক্কা বাঁধ যখন তৈরী হতে মোট কতদিন সময় লাগে ? | [
"ফারাক্কা বাঁধ\nফারাক্কা বাঁধ গঙ্গা নদীর উপর অবস্থিত একটি বাঁধ। ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মালদহ ও মুর্শিদাবাদ জেলায় এই বাঁধটি অবস্থিত। ১৯৬১ সালে এই বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু হয়। শেষ হয় ১৯৭৫ সালে। সেই বছর ২১ এপ্রিল থেকে বাঁধ চালু হয়। ফারাক্কা বাঁধ লম্বা যেটা প্রায় এক বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে সোভিয়েত রাশিয়ার সহায়তায় বানানো হয়েছিল। বাঁধ থেকে ভাগীরথী-হুগলি নদী পর্যন্ত ফিডার খালটির দৈর্ঘ্য ।"
] | [
"ফারাক্কা বাঁধ\nহিন্দুস্তান কনস্ট্রাকশন কোম্পানি বাঁধটি তৈরি করে। বাঁধটিতে মোট ১০৯টি গেট রয়েছে। ফারাক্কা সুপার তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জল এই বাঁধ থেকেই সরবরাহ করা হয়।\nফারাক্কা বাঁধ ভারত তৈরি করে কলকাতা বন্দরকে পলি জমা থেকে রক্ষা করার জন্য। তৎকালীন বিভিন্ন সমীক্ষায় বিশেষজ্ঞরা অভিমত প্রকাশ করেন যে গঙ্গা/পদ্মার মত বিশাল নদীর গতি বাঁধ দিয়ে বিঘ্নিত করলে নদীর উজান এবং ভাটি উভয় অঞ্চলে প্রাকৃতিক ভারসাম্য মারাত্মকভাবে নষ্ট হতে পারে। এ ধরণের নেতিবাচক অভিমত সত্ত্বেও ভারত সরকার ফারাক্কায় গঙ্গার উপর বাঁধ নির্মাণ ও হুগলী-ভাগরথীতে সংযোগ দেয়ার জন্য ফিডার খালখননের পরিকল্পনােও কাজ শুরু করে । পরবর্তীতে যা মূলত বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ , বিহার রাজ্যে ব্যাপক পরিবেশ বিপর্যয় ডেকে আনে । এটি প্রায় ১৮ কি.মি লম্বা এবং মনহরপুরে অবস্থিত।",
"ফিডার খাল (ফারাক্কা)\nফিডার ক্যানাল ফারাক্কা ব্যারাজের সাথে যুক্ত একটি খাল। এটি পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলায় অবস্থিত। খালটি ৩৮.৩ কিলোমিটার দীর্ঘ। ফারাক্কা বাঁধ থেকে গঙ্গা নদীর জল এই খালের সাহায্যে ভাগীরথীতে পাঠানো হয়। ফারাক্কা বাঁধ প্রকল্পের মাধ্যমে ভাগীরথী-হুগলি নদীর জলের প্রবাহের সঠিক রাখার কারণে, ফিডার সংযোগে প্রতিদিন ৪০ কিউসেক জল ছাড়া হয় ।মনে রাখবেন, এই পরিমাণ জল বহন করার ক্ষমতা বিবেচনায় ফিডার খাল তৈরি করা হয়েছে। তবে, শুষ্ক মৌসুমে, কম জল মুক্তি পায় ফারাক্কা বাধ থেকো। শুষ্ক মৌসুমের মাস জানুয়ারি থেকে মে। তারপর ভাগিরথী নদীতে খাল থেকে জল প্রবেশ ৪০ হাজার কিউসেক থেকে কমে ৩০ থেকে ২৮ হাজার কিউসেক হয়ে যায়। গুরুতর খরা সয়ম গঙ্গা উজানে জল কমে গেলে ফিডার চ্যানেলেও জলের প্রবোশ কমে যায়।",
"ফারাক্কা বাঁধ\nএকচল্লিশ বছর আগে গঙ্গার উপর যখন ফারাক্কা বাঁধ চালু করা হয়, তার একটা প্রধান উদ্দেশ্য ছিল জলপ্রবাহের একটা অংশকে হুগলী নদীতে চালিত করে কলকাতা বন্দরকে পুনরুজ্জীবিত করা।সে উদ্দেশ্য পুরোপুরি সফল না-হলেও ফারাক্কার জেরে গঙ্গার উজানে যে পলি পড়া শুরু হয়েছে, তারে জেরে প্রতি বছরই বর্ষার মরশুমে বন্যাকবলিত হয়ে পড়ছে বিহার ও উত্তরপ্রদেশের একটা বিস্তীর্ণ অংশ।। বহুদিন ধরেই মালদহ-মুর্শিদাবাদ জেলার গঙ্গা তীরবর্তী দুর্ভোগ ও বিপর্যয়কবলিত মানুষ ফারাক্কা বাঁধের বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে আসছে। একই সঙ্গে তারা ক্ষতিপূরণ, ভূমি ও পুনর্বাসন দাবি করে আসছে। অব্যাহত বন্যা ও নদীভাঙন প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণেরও তারা দাবি জানিয়ে আসছে। বলা যায়, পশ্চিমবঙ্গের জন্যও ফারাক্কা বাঁধ বড় রকমের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, পার্শ্ববর্তী বিহারও ফারাক্কা বাঁধের কারণে মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়েছে। সেখানে চলমান বন্যায় ১০ লাখের বেশি মানুষ ও ২ লাখ মানুষের ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিহার রাজ্য সরকারের দাবি, ফারাক্কা বাঁধের কারণেই এই ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এবং প্রায় প্রতিবছরই রাজ্য বন্যা ও নদীভাঙনের শিকার হচ্ছে।",
"ফারাক্কা লঙ মার্চ ১৯৭৬\nফারাক্কা লং মার্চ ১৯৭৬ সংগঠিত ও পরিচালিত হয়েছিল ফারাক্কায় বাঁধ দিয়ে ভারত কর্তৃক একতরফা গঙ্গার জল অপসারণের মাধ্যমে পদ্মা নদীকে জলশূন্য করে ফেলার বিরূদ্ধে। বাংলাদেশের প্রবীণ রাজনৈতিক নেতা মাওলানা ভাসানী এই প্রতিবাদী পদযাত্রার আহবান করেন। বাংলাদেশের তৎকালীন সরকার এই লঙ মার্চ আয়োজনে সহায়তা দিয়েছিল। ১৯৭৫ খ্রিস্টাব্দের ২১শে এপ্রিল এই বাঁধ চালু করার কয়েক মাসের মধ্যে এর ভয়াবহ প্রতিক্রিয়া পরিলক্ষিত হয। বাংলাদেশের পরিবেশে ফারাক্কার সুদূরপ্রসারী প্রভাব বিবেচনায় নিয়ে মাওলানা ভাসানী এর বিরূদ্ধে প্রতিবাদের জন্য জাতির প্রতি আহবান জানান। এইরই প্রেক্ষাপটে ১৯৭৬ খ্রিস্টাব্দের ১৬ই মে পদ্মা নদীর তীরবর্তী বিভাগীয় শহর রাজশাহী থেকে ফারাক্কা বাঁধ অভিমুখী এই অভিযাত্রা শুরু করা হয়। যদিও মাওলানা ভাসানী সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতের অভ্যন্তরে ফারাক্কা পর্যন্ত পদযাত্রার ঘোষণা দিয়েছিলেন তবু সরকারের পরামর্শে এই পদযাত্রা ১৭ই মে অপরাহ্নে ভারতীয় সীমান্তের কাছে কানসাটে গিয়ে শেষ করা হয।",
"ফারাক্কা বাঁধ\n১৯৫০ ও ১৯৬০-এর দশকে কলকাতা বন্দরের কাছে হুগলি নদীতে পলি জমা একটা বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। এই পলি ধুয়ে পরিষ্কার করার জন্য ফারাক্কা বাঁধ তৈরি করা হয়। শুখা মরসুমে (জানুয়ারি থেকে জুন) ফারাক্কা বাঁধ গঙ্গার জল হুগলি নদীর অভিমুখে চালিত করে।",
"গঙ্গার জল বণ্টন\nফারাক্কা বাঁধ পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলায় বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে ১০ কিলোমিটার (৬.২ মাইল) দূরে অবস্থিত একটি বাঁধ। এই বাঁধের মাধ্যমে ভারত গঙ্গার জল নিয়ন্ত্রিত করে থাকে। ১৯৫০ ও ১৯৬০-এর দশকে পলি জমে হুগলি নদীর নাব্যতা হ্রাস পেতে শুরু করলে কলকাতা বন্দর গভীর সমস্যার সম্মুখীন হয়। এই সমস্যা সমাধানে শুষ্ক মৌসুমে (জানুয়ারি-জুন মাস) গঙ্গার জল হুগলি নদীর অভিমুখে প্রবাহিত করে পলি দূর করার জন্য এই বাঁধ নির্মিত হয়। বাংলাদেশ দাবি করে, ভারতে এইভাবে নদীর জলপ্রবাহের অভিমুখ পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশের নদীগুলি শুকিয়ে যাচ্ছে। ১৯৭৪ সালের মে মাসে ফারাক্কা বাঁধ চালু করার আগে জলবণ্টন ইস্যুর সমাধানে একটি যৌথ ঘোষণাপত্র জারি করা হয়। এরপর ১৯৭৫ সালে একটি অন্তর্বর্তী চুক্তির মাধ্যমে ভারত স্বল্পমেয়াদের জন্য বাঁধের ফিডার খালটি চালু করার অনুমতি পায়।",
"ফারাক্কা বাঁধ\nপদ্মার পানি প্রবাহ মারাত্মকভাবে কমে যাওয়ায় বাংলাদেশের উত্তর অববাহিকায় বিশেষ করে রাজশাহী, চাপাইনবাবগঞ্জ ভূগর্ভস্থ পানির প্রথম স্তর ৮-১০ ফুট জায়গা বিশেষে ১৫ ফুট নীচে নেমে গেছে। । মওসুমী বৃষ্টি ও এই স্তরে রিচার্য করে কুলিয়ে উঠতে পারছে না। সেচের জন্য খরার মওসুমে এখন ভরসা দ্বিতীয় স্তর (>৩০০ ফুট)। বরেন্দ্র অঞ্চলে এই স্তরটা মোটামুটি ফসিল পানি দিয়ে পূর্ণ। ব্যাপক সেচের ফলে এই স্তর থেকে কতদিন পানি উত্তোলন করা যাবে কে জানে। পানির অভাবে মাটির আদ্রতা শুষ্ক মওসুমে ৩৫% কমে গেছে। পানি প্রবাহের এমন করুণ অবস্থা থেকে সৃষ্ট হয় মরুকরণ প্রক্রিয়া। নদীর পানি থেকে জলীয় বাষ্প সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের বায়ুর আদ্রতা সৃষ্টিতে নিয়ামক ভূমিকা পালন করে। খরার সময় পদ্মা নিজেই যখন বিশুষ্ক মরুভূমিতে পরিণত হয় সে তখন স্থলভূমির বায়ুতে আদ্রতার যোগান কিভাবে দিবে। আদ্রতার অভাবে দিনের নিম্নতম এবং উচ্চতম তাপমাত্রার তারতম্য বৃদ্ধি পায়। ৬০ দশকে এই তারতম্য যেখানে ৫-৮ সে. ছিল এখন সেটা বৃদ্ধি পেয়ে ৮-১২ সে. এ দাঁড়িয়েছে। এই দৃষ্টিকোণ থেকে মরুকরণ প্রক্রিয়ার ব্যাহিক রূপ এই অঞ্চলের জনগণ ইতিমধ্যে প্রত্যক্ষ করছেন। মরুকরণের অনেক বায়ো মার্কার রয়েছে, এইগুলো হতে পারে পানি নির্ভর উদ্ভিদ এবং আরো সুক্ষ স্তরে অণুজীব। আশা করা যায় দেশের নতুন প্রজন্মের পরিবেশ বিজ্ঞানীরা জাতীয় স্বার্থে এ ব্যাপারে গবেষণায় ব্রত হবেন।",
"ফারাক্কা বাঁধ\n১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর গঙ্গার জল বন্টন নিয়ে ভারতের সাথে আলোচনা শুরু করে।১৯৭৪ সালের ১৬ মে বাংলাদেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী ফারাক্কা পয়েন্টে গঙ্গার পানি বণ্টন বিষয়ে এক যৌথ বিবৃতি দেন। এই সম্মেলনে এ সিদ্ধান্ত হয় যে, উভয় দেশ একটি চুক্তিতে আসার আগে ভারত ফারাক্কা বাঁধ চালু করবে না। যদিও বাঁধের একটি অংশ পরীক্ষা করার জন্য বাংলাদেশ সরকার ১৯৭৫ সালে দশ (২১ এপ্রিল ১৯৭৫ থেকে ২১ মে ১৯৭৫) দিনের জন্য ভারতকে গঙ্গা হতে ৩১০-৪৫০ কিউসেক পানি অপসারণ করার অনুমতি দেয়। কিন্তু ভারত ১৯৭৬ সালের শুষ্ক মৌসুম পর্যন্ত গঙ্গা নদী হতে ১১৩০ কিউসেক পানি অপসারণ করে পশ্চিমবঙ্গের ভাগরথি-হুগলি নদীতে প্রবাহিত করে।",
"ফারাক্কা বাঁধ\nশুষ্ক মৌসুমে গঙ্গার পানি অপসারণের ফলে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। এতে বাংলাদেশকে কৃষি, মৎস্য, বনজ, শিল্প, নৌ পরিবহন, পানি সরবরাহ ইত্যাদি ক্ষেত্রে ব্যাপক লোকসানের সম্মুখীন হতে হয়। প্রত্যক্ষ ভাবে বাংলাদেশের প্রায় ৩০০ কোটি মার্কিন ডলার ক্ষতি হয়; যদি পরোক্ষ হিসাব করা হয়, তাহলে ক্ষতির পরিমাণ অনেক বেশি হবে। প্রফেসর এম, আই চৌধুরী এবংসৈয়দ সফিউল্লাহ জাতিসংঘ পরিবেশ অধিদপ্তর ও হামবুর্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ উদ্যোগে অনুষ্ঠিত ‘গ্লোবাল কার্বন প্রবাহ’ গবেষণা প্রকল্পে বিভিন্ন গুরত্বপুরন তথ্য উঠে আসে । ৮ বছরের সমীক্ষার ফলাফল সংক্ষেপে নিম্নোরূপ :"
] | 33 |
বৌদ্ধধর্মের প্রচারক কে ছিলেন ? | [
"বৌদ্ধ ধর্ম\nবৌদ্ধ ধর্ম গৌতম বুদ্ধ কর্তৃক প্রচারিত একটি ধর্ম বিশ্বাস এবং জীবন দর্শন। অনুসারীদের সংখ্যায় বৌদ্ধধর্ম বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম ধর্ম। আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতাব্দিতে গৌতম বুদ্ধের জন্ম। বুদ্ধের পরিনির্বাণের পরে ভারতীয় উপমহাদেশ সহ এশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে বৌদ্ধ ধর্মের প্রসার হয়। বর্তমানে বৌদ্ধ ধর্ম দুটি প্রধান মতবাদে বিভক্ত। প্রধান অংশটি হচ্ছে হীনযান বা থেরবাদ (সংস্কৃত: স্থবিরবাদ)। দ্বিতীয়টি মহাযান নামে পরিচিত। বজ্রযান বা তান্ত্রিক মতবাদটি মহাযানের একটি অংশ। শ্রীলংকা, ভারত, ভুটান, নেপাল, লাওস, কম্বোডিয়া, মায়ানমার, চীন, জাপান, মঙ্গোলিয়া, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, ও কোরিয়াসহ পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অনেক দেশে এই ধর্মবিশ্বাসের অনুসারী রয়েছে। সবচেয়ে বেশি বৌদ্ধধর্মাবলম্বী বাস করেন চীনে। বাংলাদেশের উপজাতীদের বৃহত্তর অংশ বৌদ্ধধর্মে দীক্ষিত।",
"ফা-জো-'ব্রুগ-স্গোম-ঝিগ-পো\nফা-জো-'ব্রুগ-স্গোম-ঝিগ-পো () (১১৮৪-১২৫১) ভূটানে তিব্বতী বৌদ্ধধর্মের 'ব্রুগ-পা-ব্কা'-ব্র্গ্যুদ () ধর্মসম্প্রদায়ের প্রচারকদের মধ্যে অন্যতম এক বৌদ্ধ লামা ছিলেন।",
"'ব্রুগ-পা-কুন-লেগ্স\n'ব্রুগ-পা-কুন-লেগ্স জীবনের বহুলাংশ ভূটান ভ্রমণে ব্যয় করেন, যেখানে তিনি সাধারণ মানুষের নিকট অত্যন্ত জনপ্রিয় একজন বৌদ্ধ সাধক হিসেবে পরিগণিত হয়ে থাকেন। তার দ্বারা প্রচলিত বৌদ্ধধর্ম শিক্ষার অদ্ভুত, গর্হিত ও সাংঘাতিক প্রণালীগুলি ভূটানীদের আচার অনুষ্ঠানে স্থান করে নিয়েছে। ভূটানী ঐতিহ্যানুসারে, উর্বরতা এবং যৌনতাকে কেন্দ্র করে এইসমস্ত আচার অনুষ্ঠানের প্রচারক 'ব্রুগ-পা-কুন-লেগ্স একজন বন্য ও পাগল সাধক হিসেবে গণ্য হয়ে থাকেন। ভূটানীদের গৃহের বাইরের দেওয়ালে লিঙ্গ অঙ্কনের প্রতীকী ঐতিহ্যের সাহায্যে অশুভ শক্তির বিতাড়ণের ধারণা 'ব্রুগ-পা-কুন-লেগ্স দ্বারা প্রচলিত হয়েছে।"
] | [
"বৌদ্ধধর্মের সহিত হিন্দুধর্মের সম্বন্ধ\n১৮৯৩ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর এই ভাষণটি দেওয়া হয়েছিল। \"নব্য-বেদান্তবাদী\" হিসেবে পরিচিত স্বামী বিবেকানন্দ বিশ্বধর্ম মহাসভায় দেওয়া এই ভাষণে ভারতে গৌতম বুদ্ধকে অবতার হিসেবে পূজা করা এবং চীন, জাপান ও শ্রীলঙ্কায় বৌদ্ধধর্মের প্রাধান্যের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বৌদ্ধধর্মকে হিন্দুধর্মের বিদ্রোহী সন্তান বলে উল্লেখ করেন। তাঁর মতে, বুদ্ধের শিক্ষা বিশ্বকে দেওয়া একটি উপহার এবং এর প্রভাব খ্রিস্টধর্মেও দেখা যায়। হিন্দুধর্ম একটি বৈদিক ধর্ম এবং বৌদ্ধধর্মের প্রবর্তক শাক্যমুনি বুদ্ধও ছিলেন হিন্দু। তিনি বেদের গুপ্ত সত্যগুলিকেই প্রকাশ করে গিয়েছেন। বুদ্ধের শিক্ষাগুলি নতুন নয়, সেগুলির উল্লেখ বেদেও আছে। বুদ্ধের শিক্ষাই প্রথম ভারতীয় মতবাদ যা ভারতের বাইরে প্রচারিত হয়। অন্যান্য ধর্মীয় প্রচারকেরা অনেক পরে ভারতের বাইরে মত প্রচার করেছিলেন। আরও একটি পার্থক্যের কথা তিনি তাঁর ভাষণে বিশেষভাবে তুলে ধরেন: ইহুদিরা মতপার্থক্যের জন্য যিশু খ্রিস্টকে ক্রুশবিদ্ধ করে হত্যা করলেও, হিন্দুরা বুদ্ধকে অবতার হিসেবে পূজা করে। তবে তিনি সামসাময়িক পৃথিবীতে যেভাবে বৌদ্ধধর্মের অনুশীলন হয়, তার সমালোচনা করেছিলেন।",
"অঘোরনাথ গুপ্ত\nঅঘোরনাথ গুপ্ত (১৮৪১-১৮৮১ খ্রিঃ) ছিলেন বৌদ্ধধর্মের একজন বিশেষজ্ঞ এবং ব্রাহ্মসমাজের একজন প্রচারক। মাত্র চল্লিশ বছর বয়সে অকালপ্রয়াণের পর তাঁর সৎ জীবনের স্বীকৃতিস্বরূপ তাঁকে \"সাধু\" বলে সম্মানিত করা হয়। শিবনাথ শাস্ত্রী তাঁর সম্বন্ধে বলেন, \"তাঁর অকপট ভদ্রতা, গভীর আধ্যাত্মিকতা এবং আন্তরিক ভক্তি সমাজের সদস্যদের সম্মুখে অভিনব দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিল।",
"পশ্চিমবঙ্গে খ্রিস্টধর্ম\nব্যাপটিস্ট মিশনারি সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা উইলিয়াম কেরি ১৭৯৩ খ্রিস্টাব্দে ভারতে এসেছিলেন। ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি তাঁর বিরুদ্ধাচারণ শুরু করলে তিনি শ্রীরামপুরের ড্যানিশ উপনিবেশে ধর্মপ্রচারক হিসাবে কাজ শুরু করেন। তিনি বাংলা (১৮০৯ খ্রিস্টাব্দে সম্পূর্ণ) ও সংস্কৃতে (১৮১৮ খ্রিস্টাব্দে সম্পূর্ণ) বাইবেল অনুবাদ করেছিলেন। তিনি কৃষ্ণ পাল নামে এক বাঙালিকে সর্বপ্রথম খ্রিস্টধর্মে দীক্ষিত করেছিলেন। কৃষ্ণ পাল ধর্মান্তরিত হওয়ার পর জাতিভেদ প্রথা অস্বীকার করেছিলেন। ১৮১৮ খ্রিস্টাব্দে মিনিস্ট্রির কাজে স্থানীয় ধর্মান্তরিতদের প্রশিক্ষিত করে তোলার লক্ষ্যে তিনি শ্রীরামপুর কলেজ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।",
"পার্বত্য ভিক্ষুসংঘ বাংলাদেশ\nপূর্ব-বাংলার বৌদ্ধধর্ম পুনরুত্থান, সংরক্ষণ ও উন্নয়নের ব্যাপারে প্রাতঃস্বরণীয় পুণ্যশীলা চাকমা রাণী ১৮৪৪ খ্রি. রাজ্যশাসন তার আগ্রহ করেন। তিনি ছিলেন ধরমবক্স খাঁ এর প্রধান মহীয়সী। চাকমা রাণী কালিন্দী ছিলেন তীক্ষ্ণ বুদ্ধিসম্পন্না, ধর্মভীরু, পরধর্মসহিঞ্চু জাতি বর্ণ নির্বিশেষে প্রজা হিতৈষিণী। চাকমা রাণী কালিন্দী তান্ত্রিক বৌদ্ধ ধর্মের অনুসারী ছিলেন। তা সত্ত্বেও তিনি জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সকল প্রজার প্রতি সমান ব্যবহার করেন। হিন্দু মুসলিম প্রজাদের জন্য মন্দির ও মসজিদ নির্মাণ করে দিয়ে ছিলেন। তাঁর রাজ প্রাসাদের সন্নিকটের বিদ্যমান ছিল বৌদ্ধ বিহার। কোন এক বিশেষ উপলক্ষে পুণ্যশীলা রাণী কালিন্দীর সাথে সংঘরাজ সারমেধ মহাস্থবির ও হারবাং এর গুণমিজু ভিক্ষুর সাক্ষাত হয়। সেই দিন সারমেধ মহাস্থবির বুদ্ধের জীবন ও ধর্ম-দর্শনের উপর এক সারগর্ভ দেশনা করেন। এই দেশনা শুনে রাণী কালিন্দী মুগ্ধ হন। পরে তিনি সারমেধ মহাস্থবিরকে তাঁর রাজ প্রাসাদে আমন্ত্রণ করে নিয়ে আসেন। সারমেধ মহাস্থবিরের নিকট তান্ত্রিক বৌদ্ধধর্ম থেকে পরিবর্তিত হয়ে থেরবাদ বৌদ্ধধর্মের দীক্ষা গ্রহণ করেন। সংঘরাজ সারমেধ মহাস্থবির ধর্মচারন ও বিনীত ব্যবহারে চাকমা রাণী কালিন্দী এতই শ্রদ্ধাসম্পন্না হন যে, ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দে রাজপুণ্যাহ উপলক্ষে মহাসমারোহে তাঁকে আরাকানি ভাষায় উপাধিযুক্ত সীলমোহর প্রদানের দ্বারা সম্মাননা জানান। তখন থেকে সারমেধ মহাস্থবিরর মহোদয় বাংলার বৌদ্ধদের কাছে সংঘরাজা হিসেবে প্রসিদ্ধি লাভ করেন।",
"রবার্ট হ্যামার্টন-কেলি\nরবার্ট জেরাল্ড হ্যামার্টন-কেলি (ডিসেম্বর ২৬, ১৯৩৮ - জুলাই ৭, ২০১৩) যুক্তরাজ্যের একজন ধর্মপ্রচারক ছিলেন; তিনি একাধারে সহিংসতার উপর বেশ কয়েকটি বইয়ের লেখক, সম্পাদক ও যুক্ত সম্পাদক। তিনি ১৪ বছর স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির স্ট্যানফোর্ড মেমোরিয়াল চার্চের চ্যাপেলের ডিন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ অধ্যাপনা করেন। রেণে গিয়ার্ডের দ্বিমুখী ইচ্ছার তত্ত্বের একটি নেতৃস্থানীয় এডভোকেট হামারটন-কেলি তত্ত্বের গবেষণায় নিবেদিত বহু প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন এবং এই বিষয়ে তিনি বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ সম্পাদনা করেছেন।",
"শ্রী শ্রী হরিদেব\nশ্রী শ্রী হরিদেব (অসমীয়া:শ্ৰী শ্ৰী হৰিদেৱ) অসমের মহাপুরুষ ব্যক্তিদের মধ্যে অন্যতম । তিনি অসমের বৈদিক বৈষ্ণব ধর্মের প্রথম প্রচারক। তিনি ইশ্বরের আরাধনায় বলি প্রথার সমর্থক ছিলেন না। গীতা, বেদ ও ভাগবত শাস্ত্রে প্রতিষ্ঠিত এক ইশ্বর উপাসনা ধর্মে তিনি বিশ্বাস করিতেন ও ভগবান শ্রীকৃষ্ণ সকল দেবতার মূল জ্ঞাত করে তিনি কেবল ভগবান শ্রীকৃষ্ণের পূজা অর্চনা করিতেন। একশরন বৈষ্ণব ধর্ম প্রচার করার উদ্দেশ্যে তিনি মনোরী সত্র, হরিপুর সত্র ও কৈহাটি সত্র স্থাপন করেছিলেন। অসমের নব-বৈষ্ণব ধর্মের প্রচারক চাঁরজন যথাক্রমে শ্রীমন্ত শংকরদেব, শ্রীমন্ত মাধবদেব, শ্রী শ্রী হরিদেব ও দামোদরদেব। সত্রপাতি বৈষ্ণব ধর্ম প্রচার করার উপরিও তিনি ভক্তিজ্ঞাপক গ্রন্থ রচনা করেছিলেন। \nভাদ্র মাসের শুক্ল পক্ষের পঞ্চম তিথিতে লক্ষীমপুর নগরের নরনারায়নপুরে হরিদেবের জন্ম হয়েছিল। তাঁর পিতার নাম দ্বিজ অজনাভ ও মাতার নাম পারিজাতি দেবী। তাঁর পূর্বপুরুষ কন্যাকুজ্বের ছিলেন যদিও পরিবর্তিত সময়ে অসমের বাসিন্দা হয়েছিলেন। \nশ্রী শ্রী হরিদেব ব্রাহ্মন পরিবারে জন্মগ্রহন করেছিলেন। নয় বৎসর বয়সে তিনি গোবিন্দ পন্ডিত থেকে প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহন করেন। তিনি শিশুকালে পিতা অজনাভ থেকে সংস্কৃত ও ব্যাকরনের জ্ঞান পেয়েছিলেন। বাল্যকালে তিনি পানিনি ব্যাকারন, বেদ ও দর্শনের জ্ঞান অর্জন করেছিলেন। জৌবন কাল থেকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাঁর পান্ডিত্য গুন প্রকাশ পেয়েছিল। \nশ্রী শ্রী হরিদেব হিংসা-দ্বেষ পরিহার করে বলিপ্রথা ত্যাগ করে বৈদিক বৈষ্ণব ধর্মে ব্রতি হয়েছিলেন। প্রায় ১৭বৎসর বয়সে তিনি ঘড় থেকে পালিয়ে এসে গুয়াহাটির অশ্বক্লান্তে আশ্রয় নিয়েছিলেন। সেখানে তিনি মাধব নামক সন্যাসী থেকে শরন দীক্ষা গ্রহন করেন। কিছুদিন পর তিনি হাজোর হয়গ্রীব মাধব মন্দির ও কেদার মন্দির পরিদর্শন করেন। তারপর তিনি শ্রীক্ষেত্রে আশ্রয় গ্রহন করেন ও বিশাম্বর নামক পুজারির সহায়তায় শ্রীক্ষেত্রের জগন্নাথ মন্দির দর্শন করেন। শ্রী শ্রী হরিদেব উত্তর ভারতের সকল তীর্থস্থান দর্শন করে কাশীর শ্রদ্বানন্দ আচার্যীর অধীনে চার বৎসর বেদ ও দর্শনের অধ্যয়ন করেন। বেদ ও দর্শনে অপরিসীম জ্ঞান থাকার জন্য তাঁকে দর্শন বেদাচার্য উপাধিতে বিভুষিত করা হয়েছে। তিনি জগন্নাথে পাঁচ বৎসরে ভাগবত চর্চা করে ভাগবতাচার্য্য উপাধি লাভ করেন। ভাগবত সমাপ্ত করে তিনি নিজের পূর্বপুরুষের স্থানে ফিরে যান ও সেই স্থানের অসৎ চরিত্রের ব্যক্তিকে নিজ প্রতিভার বলে সৎ পথে আনতে সমর্থ হন। ১৪৫৩ সনে তিনি পুর্বপুরুষের স্থানে সৎ সঙ্গী হরিদেবাশ্রম নামক একটি আশ্রমের প্রতিষ্ঠা করেন। কালক্রমে এটি গুরুদেব সেবাশ্রম নামে নামান্তরিত হয়। এই আশ্রমটি নামেরি সত্র ও বাহরি নামেও পরিচিত। তিনি কৃষ্ণকান্ত অধ্যাপকের কন্য তিলোত্তমাকে বিবাহ করেছিলেন। তাঁর কন্যার নাম ভুবনেশ্বরী। ভুবনেশ্বরী চিরকুমারী গ্রহন করে জ্ঞান চর্চায় ব্রতি হয়ে নামেরি সত্রের সত্রাধিকার হিসেবে অনুষ্ঠিত হন। তিনি প্রথম মহিলা যিনি বৈষ্ণব ধর্ম প্রচারের এই সন্মানীয় স্থান লাভ করেন। শ্রী শ্রী হরিদেবের গুন,গরিমা ও পান্ডিত্যের কথা জানতে পেয়ে কোচবিহারের রাজা মল্লদেবে তাঁর থেকে পত্নীসহ দীক্ষা গ্রহন করেন। রাজা মল্লদেব কোচবিহার থেকে চার-পাচ কিঃমিঃ দূরত্বে হরিপুত্র সত্র নামক একটি সত্রের স্থাপন করে বৈষ্ণব ধর্ম প্রচার করার ব্যবস্থা করেন। কিছুকাল কোচবিহারে ধর্ম প্রচার করে তিনি পুনরায় অসমের বরপেটায় ফিরে আসেন ও মানেরি সত্র থেকে ধর্ম প্রচার অব্যাহত রাখেন। \nগীতা, বেদ ও ভাগবত শাস্ত্রে প্রতিষ্ঠিত এক ইশ্বর উপাসনা ধর্মে তিনি বিশ্বাস করিতেন ও এই ধর্ম প্রচার করার জন্য তিনি আপ্রান চেষ্টা করেছিলেন। তাঁরমতে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ সকল দেবতার মুল ইশ্বর। তিনি বলি প্রথার বিরোধ করেছিলেন ও অন্যান্য দেব-দেবীর নিন্দা অপরাধ বলে গন্য করেছিলেন। তাঁরমতে পৃথিবীর সকল জলভাগ যেমন সমুদ্রের দিকে গতি করে ঠিক সেইভাবে অন্যান্য দেব-দেবীকে করা পূজা কেশব অর্থাৎ শ্রীকৃষ্ণের দিকে গতি করে। তিনি বিশ্বাস করিতেন যে ভাগবতের নববিধা ভক্তির দ্বারা পরম গতি লাভ করা সম্ভব কিন্তু ইহার জন্য সৎ গুরুর প্রয়োজন। উল্লেখযোগ্য যে শ্রী শ্রী হরিদেব অসমে প্রথম বৈদিক বৈষ্ণব ধর্ম প্রচার করেছিলেন। তাঁর জন্মের ২৩ বৎসর পর শ্রীমন্ত শংকরদেবের জন্ম হয়েছিল ও ৩৯ বৎসর পর শ্রী দামোদরের জন্ম হয়েছিল। কিন্তু গুরুদের পরস্পরের সহিত সমন্বয় ও সদভাবনা ছিল। \nশ্রী শ্রী হরিদেব সরল, ধর্মপরায়ণ, বেদ,উপনিষদ, ভাগবত , গীতা ইত্যাদির জ্ঞান থাকা একজন বিদগ্ধ পন্ডিত বা যোগসিদ্ধ পুরুষ । তিনি বিভিন্ন শাস্ত্রের মুলতত্ব একত্রিত করতে ভক্তদের মাঝে প্রচার করার উপরি লিপিবদ্ধ করেছিলেন। \nসহজ-সরল ছোট ছোট বাক্যকে একত্রিত করে গভীর ভাব প্রকাশ করাই ছিল শ্রী শ্রী হরিদেবের গদ্যশৈলীর অন্যতম বৈশিষ্ট। তিনি রচনা করা ভক্তিরস তরংগিনী প্রাচীন অসমীয়া গদ্য সাহিত্যের অন্যতম নির্দেশন। \nতিনি কয়েকটি ভক্তিমূলক গান রচনা করেছিলেন। \nশ্রী শ্রী হরিদেব জীবনের অন্তিম মূ্হর্ত পর্যন্ত ধর্ম প্রচার করেছিলেন। ১৫৬৬ সনের জৈষ্ঠ মাসের অমবস্যা তিথিতে তিনি মৃত্যুবরন করেন।",
"গৌরগোবিন্দ রায়\nগৌরগোবিন্দ রায় ১৮৬৩ থেকে ১৮৬৬ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত পুলিশ বিভাগের সাব-ইন্সপেক্টর ছিলেন । ১৮৬৬ খ্রিস্টাব্দে চাকরি ছেড়ে তিনি কেশবচন্দ্রের অনুগামী হন ও প্রচারকের ভূমিকা গ্রহণ করেন । ১৮৭৯ খ্রিস্টাব্দে কেশবচন্দ্র তাঁকে ধর্মশাস্ত্রের আলোচনা ও ব্যাখ্যার জন্য নিযুক্ত করেন । এবং ১৮৭৬ খ্রিস্টাব্দে \"উপাধ্যায়\" উপাধি ও \"জ্ঞানশিক্ষার্থী\" ব্রত দেন । তিনি আমরন এই কাজে নিযুক্ত ছিলেন । ব্রাহ্মধর্মের আদর্শবাণী \"সুবিশালমিদং বিশ্বং পবিত্রং ব্রাহ্মমন্দিরম\" ইত্যাদি শ্লোকটি তাঁরই রচনা ।",
"শীলভদ্র\nমহাস্থবির শীলভদ্র (৫২৯-৬৫৪) বৌদ্ধশাস্ত্রের একজন শাস্ত্রজ্ঞ - দার্শনিক ছিলেন। তিনি নালন্দা মহাবিহার বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ ছিলেন। \nমহাস্থবির শীলভদ্র ৫২৯ সালে সমতট রাজ্যভুক্ত বর্তমান বাংলাদেশের অন্তর্গত কুমিল্লা জেলার চান্দিনার কৈলাইন গ্রামে এক ব্রাহ্মন পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। বাল্যকাল থেকেই তিনি অধ্যয়নপ্রিয় ছিলেন। জ্ঞান-অন্বেষণে ধর্মীয় গুরুর সন্ধানে তিনি তৎকালীন অবিভক্ত ভারতবর্ষের বিভিন্ন রাজ্য ও স্থান পরিভ্রমণ করেন। একসময় তিনি মগধের নালন্দা মহাবিহার বিশ্ববিদ্যালয়ে আগমন করেন। এখানে তিনি মহাবিহারের অধ্যক্ষ আচার্য ধর্মপালের অধীনে শিক্ষালাভ করেন। তাঁর কাছেই তিনি বৌদ্ধধর্মের সাথে পরিচিতি লাভ করেন। এভাবে তিনি বৌদ্ধধর্মের শাস্ত্রীয় বিষয়ে অনেক জ্ঞান লাভ করেন।"
] | 1 |
জাপানি ভাষার লিপির নাম কী ? | [
"জাপানি লিখন পদ্ধতি\nএই ঐতিহাসিক কারণগুলির জন্য জাপানি ভাষার প্রতিটি কাঞ্জি লিপি একাধিক ওন পাঠপদ্ধতিতে উচ্চারণ করা সম্ভব। জাপানে এই কাঞ্জি লিপিগুলিই ছিল লিখিত ভাবপ্রকাশের প্রধান বাহন, কেননা এগুলি জাপানি সভ্যতা থেকে সে সময়ে অনেক উন্নত চীনা সভ্যতা থেকে আমদানি করা হয়েছিল। চীনা লিপিভিত্তিক এই কাঞ্জিগুলিকে জাপানে তাই বলা হত মানা (真名), অর্থাৎ আসল লিপি। কাঞ্জিগুলির পাশাপাশি হেই পর্বে (৭৯৪-১১৮৫) জাপানে দুইটি সিলেবলভিত্তিক বর্ণমালার আবির্ভাব ঘটে। এই বর্ণমালাগুলিকে অপ্রধান লিখন পদ্ধতি হিসেবে গণ্য করা হত, তাই এদের নাম দেওয়া হয় কানা (仮名), অর্থাৎ অস্থায়ী লিপি। কাঞ্জি ও কানা লিপির এই মর্যাদাভিত্তিক পার্থক্য আজও বজায় আছে।",
"কাঞ্জি\nএই ঐতিহাসিক কারণগুলির জন্য জাপানি ভাষার প্রতিটি কাঞ্জি অক্ষর একাধিক \"ওন্\" পাঠপদ্ধতিতে উচ্চারণ করা সম্ভব। জাপানে এই কাঞ্জি লিপিগুলিই ছিল লিখিত ভাবপ্রকাশের প্রধান বাহন, কেননা এগুলি জাপানি সভ্যতা থেকে সে সময়ে অনেক উন্নত চীনা সভ্যতা থেকে আমদানি করা হয়েছিল। চীনা লিপিভিত্তিক এই কাঞ্জিগুলিকে জাপানে তাই বলা হত 真名 \"মানা\", অর্থাৎ আসল লিপি। কাঞ্জিগুলির পাশাপাশি হেই পর্বে (৭৯৪-১১৮৫) জাপানে দুইটি শব্দলিপিভিত্তিক বর্ণমালার আবির্ভাব ঘটে। এই বর্ণমালাগুলিকে অপ্রধান লিখন পদ্ধতি হিসেবে গণ্য করা হত, তাই এদের নাম দেওয়া হয় (仮名, かな, カナ) \"কানা\", অর্থাৎ অস্থায়ী লিপি। কাঞ্জি ও কানা লিপির এই মর্যাদাভিত্তিক পার্থক্য আজও বজায় আছে।",
"জাপানি লিখন পদ্ধতি\nসাধারণত একটি জাপানি বাক্য কাঞ্জি ও কানার সমন্বয়ে লেখা হয়। কাঞ্জি বিষয়বস্তু-সম্বলিত শব্দ (content word) লেখার জন্য ব্যবহৃত হয়। আর হিরাগানা জাপানি ভাষার নিজস্ব কিছু বিষয়বস্তু-সম্বলিত শব্দ এবং ব্যাকরণিক ক্রিয়া সম্পাদনকারী শব্দ যেমন পার্টিকল, সংযোজক অব্যয়, ক্রিয়া বা বিশেষণের রূপভেদের বিভক্তি ইত্যাদি লেখার জন্য ব্যবহৃত হয়। কাতাকানা অল্প কিছু বিষয়বস্তু-সম্বলিত শব্দ লেখার জন্য, চীনা ভাষা বাদে বাকী সব বিদেশী ভাষার থেকে ঋণ করা শব্দ লেখার জন্য, এবং ধ্বন্যাত্মক শব্দগুলি লেখার জন্য ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও অন্য ভাষায় জোর দেবার জন্য বা অন্য কারণে \"ইটালিক্স\" বা \"বাঁকা হরফে\" লেখার যে পদ্ধতি আছে, জাপানি ভাষাতে সেটি করার জন্য কাতাকানা লিপি ব্যবহার করা হয়। রোমাজি লিপির ব্যবহার বেশ সীমাবদ্ধ। এগুলি সাধারণত কাঞ্জি লিপির সাথে মিলে জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত স্থানে বিভিন্ন সাইনে ব্যবহৃত হয়, মূলত পাঠকের দৃষ্টি আকর্ষণের উদ্দেশ্যে।",
"হিরাগানা\nহিরাগানা () জাপানি ভাষার ৩টি ব্যবহারিত লিপি থেকে ১টি ব্যবহারিত শব্দলিপি। হিরাগানা জাপানি লিখন পদ্ধতির প্রাথমিক লিপি হয়। হিরাগানা লিপিটি কাতাকানা লিপি এবং কাঞ্জি লিপির সঙ্গে বরাবরে ব্যবহার করা হয়। জাপানি ভাষাতে হিরাগানা লিপিটি স্থানীয়, দেশ্যভূত এবং মূলত জাপানি শব্দ লিখতে, এবং ব্যাকরণগত উপাদানের জন্য কাঞ্জির সঙ্গে ব্যবহারিত। ইতিহাসে হিরাগানার অক্ষরগুলি মেয়েলী হিসেবে গণ্য করা হত।",
"কাতাকানা\nকাতাকানা () জাপানি ভাষার ৩টি ব্যবহারিত লিপি থেকে ১টি ব্যবহারিত শব্দলিপি। কাতাকানা লিপিটি হিরাগানা লিপি এবং কাঞ্জি লিপির সঙ্গে বরাবরে ব্যবহার করা হয়। জাপানি ভাষাতে কাতাকানা লিপিটি বিদেশী শব্দ (চীনা শব্দ বাদে) ও অনুকারশব্দ লিখতে ব্যবহার হয়, এবং কখনো কখনো জোর দেওয়া জন্য কাঞ্জি বা হিরাগানাকেও প্রতিস্থাপন করে। ইতিহাসে কাতাকানার অক্ষরগুলি পুরুষালী হিসেবে গণ্য করা হত।",
"কাঞ্জি\nকাঞ্জি (漢字) জাপানি ভাষার ৩টি ব্যবহারিত লিপি থেকে ১টি ছবি-অক্ষর লিপি, হিরাগানা এবং কাতাকানার সঙ্গে বরাবরে। কাঞ্জি ছবি-অক্ষর লিপি জাপানি ভাষাতে হচ্ছে গৃহীত চীনা ছবি-অক্ষর লিপি। বর্তমানে জাপানি ভাষায় প্রায় দুই হাজারের মতো সরকার-অনুমোদিত কাঞ্জি ছবি-অক্ষর আছে, যেগুলি গণমাধ্যমগুলিতে ব্যবহৃত হয়। তবে এগুলির বাইরেও আরও বেশ কিছু কাঞ্জি প্রচলিত।",
"জাপানি ভাষা\nজাপানি ভাষা বা নিপ্পনীয় ভাষা (, ) জাপানের প্রচলিত ভাষা। জাপানসহ বিশ্বের প্রায় ১৩ কোটি মানুষ জাপানি ভাষায় কথা বলে। জাপানি ভাষা লিখতে ৩ ধরনের লিপির ব্যবহার হয়: কাঞ্জি, হিরাগানা ও কাতাকানা। জাপানি যখন রোমান হরফে লেখা থাকে তাকে \"রোমাজি\" বলা হয়।"
] | [
"কাঞ্জি\nআদিতে জাপানি ভাষার কোনও লিখন পদ্ধতি ছিল না। ৫ম শতাব্দীতে চীনা ভাষা থেকে চিত্রভিত্তিক কাঞ্জি বর্ণগুলি গৃহীত (ধার) করা হয়। চীনার ছবি-অক্ষর লিপি ইতিহাস অনেক পুরনো। এগুলি ৩০০০ থেকে ৫০০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ থেকে প্রচলিত। এগুলি প্রথমে চীনা ভাষা লিখতে ব্যবহৃত হত। পরবর্তীতে এগুলি পার্শ্ববর্তী জাপান, কোরিয়া ও ভিয়েতনামে ছড়িয়ে পড়ে। এই লিপি চীনে \"হান্যি\", জাপানে \"কাঞ্জি\", কোরিয়ায় \"হাঞ্জা\" এবং ভিয়েতনামে \"চ্যুনম্\" নামে পরিচিত। ৫ম শতকে এসে জাপানে প্রায় সর্বত্র কাঞ্জি লিপি ব্যবহৃত হতে থাকে, যদিও তার আগেও এই লিপির ব্যবহারের নিদর্শন পাওয়া গেছে। এই আদি পর্যায়ে যারা কাঞ্জিতে লিখত, তারা ছিল মূলত চীন ও কোরিয়া থেকে আগত অভিবাসী। এরা জাপানি রাজদরবারে অনুলেখকের কাজ করত। কিছু কিছু অভিজাত জাপানি এই অনুলেখকদের কাছ থেকে লিখতে ও পড়তে শিখে নেন। তবে ৬ষ্ঠ শতকের মধ্যভাগে যখন চীন থেকে জাপানে বৌদ্ধধর্মের প্রসার ঘটে, তখনই সাধারণ জাপানি জনগণ কাঞ্জি পড়তে ও লিখতে বেশি আগ্রহী হয়ে ওঠে।",
"জাপানি লিখন পদ্ধতি\nচীনা চিত্রলিপিগুলির ইতিহাস অনেক পুরনো। এগুলি ৩০০০ থেকে ৫০০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ থেকে প্রচলিত। এগুলি প্রথমে চীনা ভাষা লিখতে ব্যবহৃত হত। পরবর্তীতে এগুলি পার্শ্ববর্তী জাপান, কোরিয়া ও ভিয়েতনামে ছড়িয়ে পড়ে। এই লিপি চীনে 漢字 \"হান্ ৎস্যি\" (অর্থাৎ হান লিপি) এবং জাপানে \"কান্ জি\" নামে পরিচিত। ৫ম শতকে এসে জাপানে প্রায় সর্বত্র কাঞ্জি লিপি ব্যবহৃত হতে থাকে, যদিও তার আগেও এই লিপির ব্যবহারের নিদর্শন পাওয়া গেছে। এই আদি পর্যায়ে যারা কাঞ্জিতে লিখত, তারা ছিল মূলত চীন ও কোরিয়া থেকে আগত অভিবাসী। এরা জাপানি রাজদরবারে অনুলেখকের কাজ করত। কিছু কিছু অভিজাত জাপানি এই অনুলেখকদের কাছ থেকে লিখতে ও পড়তে শিখে নেন। তবে ৬ষ্ঠ শতকের মধ্যভাগে যখন চীন থেকে জাপানে বৌদ্ধধর্মের প্রসার ঘটে, তখনই সাধারণ জাপানি জনগণ কাঞ্জি পড়তে ও লিখতে বেশি আগ্রহী হয়ে ওঠে।",
"চীনা লিখন পদ্ধতি\nজাপানি ভাষার তুলনায় কোরীয় ও ভিয়েতনামি ভাষাতে চীনা অক্ষরগুলির ভূমিকা অনেক কম। অতীতে একসময় কোরীয় ভাষাতেও জাপানি ভাষার মত অনেক চীনা অক্ষরের প্রবর্তন করা হয়েছিল, যাদের নাম ছিল হানজা। ১৯৭০-এর দশকের পর থেকে সামরিক সরকার ও পরবর্তী সরকারসমূহও জনগণের সাক্ষরতা বৃদ্ধির একটি সমাধান হিসেবে লেখ্য কোরীয় ভাষার প্রায় পুরোটাই শুধুমাত্র হানগুল বর্ণমালা ব্যবহার করে লেখার নীতি গ্রহণ করে। হানগুল বর্ণগুলি একটি বর্গাকৃতির ক্ষেত্রে একে অপরের সাথে সংযুক্ত করে লেখা হয়, এবং এরকম প্রতিটি বর্গক্ষেত্র একেকটি ধ্বনিদল নির্দেশ করে। তবে দক্ষিণ কোরিয়াতে এখনও রাস্তাঘাট ও দোকানপাটের ফলকে শৈলী বা নকশার কাজে, সংবাদপত্রের শিরোনামে স্থান সংকুলানের জন্য, বইপত্রে ও সরকারী নথিপত্রে কোন শব্দের সংক্ষিপ্ত রূপ হিসেবে চীনা অক্ষর ব্যবহার করা হয়।"
] | 75 |
প্রথম ইঙ্গ-আফগান যুদ্ধ কবে হয়েছিল ? | [
"প্রথম ইঙ্গ-আফগান যুদ্ধ\nপ্রথম ইঙ্গ-আফগান যুদ্ধ (অকল্যান্ডের বোকামি নামেও পরিচিত) ১৮৩৯ থেকে ১৮৪২ সালের মধ্যে আফগানিস্তান ও ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির মধ্যে সংঘটিত হয়। এতে আফগানরা জয়লাভ করে। এই যুদ্ধে আফগান যোদ্ধাদের হাতে ৪,৫০০ ব্রিটিশ ও ভারতীয় সৈনিক এবং ১২,০০০ শিবির অনুসারী নিহত হয়। তবে সামগ্রিকভাবে পরাজিত হলেও সর্বশেষ লড়াইয়ে ব্রিটিশরা আফগানদের পরাজিত করতে সক্ষম হয়েছিল। গ্রেট গেমের সময় সংঘটিত সংঘর্ষের মধ্যে এটি অন্যতম প্রধান যুদ্ধ। এসময় এশিয়ার আধিপত্য নিয়ে যুক্তরাজ্য ও রুশ সাম্রাজ্যের মধ্যে প্রতিযোগীতা চলছিল।",
"ইঙ্গ–আফগান যুদ্ধ (১৮৩৯–১৮৪২)\nইঙ্গ–আফগান যুদ্ধ (১৮৩৯–১৮৪২) (আফগানিস্তান বিপর্যয় নামেও পরিচিত) ১৮৩৯ থেকে ১৮৪২ সালে ব্রিটিশ ভারত এবং আফগানিস্তানের মধ্যে সংঘটিত হয়। যুদ্ধের প্রথমদিকে ব্রিটিশরা আফগানিস্তানের আমির দোস্ত মোহাম্মদ খান (বারকাজাই বংশ) এবং প্রাক্তন আমির শাহ সুজা দুররানীর (দুররানী বংশ) মধ্যবর্তী উত্তরাধিকার সংক্রান্ত দ্বন্দ্বে সফলভাবে হস্তক্ষেপ করে, এবং ১৮৩৯ সালের আগস্টে কাবুল জয় করে শাহ সুজাকে সিংহাসনে অধিষ্ঠিত করে। কিন্তু ১৮৪১ সালে ২৪,০০০ থেকে ২৮,০০০ সৈন্যবিশিষ্ট ব্রিটিশ 'আর্মি অফ দি ইন্ডাস' আফগান বিদ্রোহীদের নিকট কয়েক দফা যুদ্ধে পরাজিত হয়। ১৮৪২ সালের জানুয়ারিতে কাবুল দখলকারী মূল ব্রিটিশ ভারতীয় ও শিখ বাহিনী প্রখর শীতের মধ্যে পশ্চাৎপসরণের সময় ধ্বংস হয়ে যায়। এটি ছিল রাশিয়া ও ব্রিটেনের মধ্যে সংঘটিত গ্রেট গেমের প্রথম বৃহৎ সংঘর্ষগুলোর মধ্যে অন্যতম।"
] | [
"দ্বিতীয় ইঙ্গ-আফগান যুদ্ধ\nদ্বিতীয় ইঙ্গ-আফগান যুদ্ধ (পশতু: د افغان-انګرېز دويمه جګړه) যুক্তরাজ্য ও আফগানিস্তানের মধ্যে ১৮৭৮ সাল থেকে ১৮৮০ সালের মধ্যে সংঘটিত হয়। এসময় শের আলি খান ছিলেন আফগানিস্তানের শাসক। ব্রিটিশ ভারত কর্তৃক এটি দ্বিতীয় আফগানিস্তান আক্রমণ। যুদ্ধে ব্রিটিশরা বিজয়ী হয়। অধিকাংশ ব্রিটিশ ও ভারতীয় সৈনিক আফগানিস্তান থেকে ফিরে এসেছিল। আফগান গোত্রগুলিকে আভ্যন্তরীণ শাসন ও স্থানীয় প্রথা বজায় রাখার অনুমতি দেয়া হয়েছিল তবে বৈদেশিক বিষয়াদির নিয়ন্ত্রণ ব্রিটিশদের হাতে চলে যায়। ভারতের দিকে রুশ সাম্রাজ্যের বিস্তার রোধের জন্য ব্রিটিশরা এই পদক্ষেপ নেয়।",
"তৃতীয় ইঙ্গ-আফগান যুদ্ধ\nতৃতীয় ইঙ্গ-আফগান যুদ্ধের ভিত্তি স্থাপিত শুরু হয়েছিল মূল যুদ্ধ সংঘটনের বহু বছর পুর্বেই। ভারতে অবস্থানরত ব্রিটিশদের চোখে, আফগানিস্তান অনেক আগে থেকেই হুমকির সম্ভাব্য উৎস। একটা লম্বা সময় ধরে রাশিয়ানদের উদ্দেশ্য নিয়ে ব্রিটিশরা চিন্তিত ছিল, \"স্তারিস্ত\" নামক বাহিনী দ্বারা আফগানিস্তান হয়ে ভারত আক্রমন এর উদ্বিগ্নতা কাজ করছিল।[9] এই সময়কালকে মহা খেলা বা দি গ্রেট গেম নামেও আখ্যায়িত করা হয়। এই হুমকি নিরসনে, ব্রিটিশরা অনেকবার তাদের পরিকল্পনা কাবুলের উপর স্থাপনেরও চেষ্টা চালিয়েছিল এবং ১৯ শতাব্দী নাগাদ দুই বার যুদ্ধও সংঘটিত হয়ঃ প্রথম ইঙ্গ-আফগান যুদ্ধ (১৮৩৯-৪২) এবং দ্বিতীয় ইঙ্গ-আফগান যুদ্ধ (১৮৭৮-৮০)।",
"তৃতীয় ইঙ্গ-আফগান যুদ্ধ\nতৃতীয় ইঙ্গ-আফগান যুদ্ধ (পশতু ভাষা : د افغان-انګرېز درېمه جګړه), তৃতীয় আফগান যুদ্ধ নামেও পরিচিত, যুদ্ধ শুরু হয় ৬ই মে ১৯১৯ সালে এবং শেষ হয় ৮ই আগস্ট ১৯১৯ সালে একটি যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে। ব্রিটিশ লেখক মাইকেল বারথোর্প এর ভাষ্য অনুযায়ী, এটি একটি ছোট যুদ্ধকৌশলী জয় ছিল ব্রিটিশদের জন্য কারন আফগানিস্তান আমিরাত এবং ব্রিটিশ ভারত এর মধ্যে ডুরান্ড সীমা রাজনৈতিকভাবে পুর্ননিশ্চিত হয়েছিল এবং আফগানরা রাজী হয়েছিল ব্রিটিশ খন্ডে আর যুদ্ধে না যাবার। আফগানরা সম্পূর্ণরূপে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে নিজেদের পররাষ্ট্র নীতি পুনরায় শুরু করে।",
"তৃতীয় ইঙ্গ-আফগান যুদ্ধ\n১৯০১ সালে আমির আবদুর রাহমান খান এর মৃত্যুর মাধ্যমে ১৮ বছর পরের যুদ্ধের প্রথম আভাস আসে। তার উত্তরাধিকারী হোন হাবিবুল্লাহ, যিনি ছিলেন একজন বাস্তবমুখী নেতা। তিনি আফগানিস্থানের সার্থে কখনও ব্রিটেন অথবা রাশিয়া এর সাথে বন্ধুত্ব স্থাপন করছিলেন।[১৩][১৪] ১৯০৭ সালের ইঙ্গ-রাশিয়ান কনভেনশন( সেইন্ট পিটার্সবার্গের কনভেনশন) উপর আলোচনা না হওয়ার উপর অনেক বিরক্তিভাব সত্ত্বেও আফগানিস্থান প্রথম বিশ্বযুদ্ধে(১৯১৪-১৯১৮ সাল) নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করে। এই সময় ওটোমান সাম্রাজ্য থেকে লক্ষণসূচক চাপ আসে এবং ওটোমান সাম্রাজ্য সার্বভৌম জার্মানী এর পক্ষে যুদ্ধে নামে এবং সুলতানও(নামমাত্র ইসলামের নেতা) মিত্রশক্তি এর বিরুদ্ধে ধর্ম যুদ্ধ ঘোষণা করেন।[১৫]",
"প্রথম ইঙ্গ-আফগান যুদ্ধ\n১৮৪১ সালের এপ্রিল ও অক্টোবরের মধ্যে অসন্তুষ্ট আফগান গোত্রগুলি দোস্ত মুহাম্মদ খানের পুত্র ওয়াজির আকবর খানকে সমর্থনের জন্য বামিয়ান ও হিন্দুকুশ পর্বতমালার উত্তরে অন্যান্য স্থানে জোট বাধতে শুরু করে। তারা মীর মাসজিদি খান ও অন্যান্য নেতাদের নেতৃত্বে সংগঠিত হতে থাকে। ১৮৪১ সালের নভেম্বরে উচ্চপদস্থ ব্রিটিশ অফিসার স্যার আলেক্সান্ডার বার্নাস ও তার সহযোগীরা কাবুলে জনতার হাতে নিহত হন। ব্রিটিশরা এর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। ফলে জনতা প্রতিরোধে আরো উৎসাহী হয়ে উঠে। ৯ নভেম্বর আফগানরা কাবুলের স্বল্প প্রতিরক্ষাসম্পন্ন সরবরাহ দুর্গে আক্রমণ করার পর ব্রিটিশদের অবস্থা আরো অবনতি হয়।",
"মুহাম্মদ আইয়ুব খান (আফগানিস্তানের আমির)\n১৮৮০ খ্রিষ্টাব্দের ২৭ জুলাই আইয়ুব খান মিওয়ান্দের যুদ্ধে জর্জ বুরোসের ব্রিটিশ বাহিনীকে পরাজিত করেছিলেন। দ্বিতীয় ইঙ্গ-আফগান যুদ্ধে এটি ছিল ইঙ্গ-ভারতীয় বাহিনীর সবচেয়ে বড় পরাজয়। তিনি কান্দাহারে সুসজ্জিত ব্রিটিশ বাহিনীর উপর আক্রমণের জন্য অগ্রসর হয়েছিলেন। তবে এতে তিনি ব্যর্থ হন। ১ সেপ্টেম্বর কান্দাহারের যুদ্ধে জেনারেল ফ্রেডেরিক রবার্টসের বাহিনীর কাছে তিনি পরাজিত হন। এরপর দ্বিতীয় ইঙ্গ-আফগান যুদ্ধ সমাপ্ত হয়।",
"প্রথম ইঙ্গ-আফগান যুদ্ধ\nসম্প্রতি দোস্ত মুহাম্মদ খান আফগানিস্তানের দ্বিতীয় রাজধানী পেশাওয়ার শিখদের কাছে হারিয়েছিলেন এবং তা পুনরুদ্ধারের জন্য সহায়তা চান। কিন্তু ব্রিটিশরা সহায়তা দিতে ইচ্ছুক ছিল না। এদিকে রুশরা কাবুলে দূত হিসেবে ইয়ান ভিতকেভিচকে পাঠিয়েছে এই খবর ভারতের গভর্নর জেনারেল লর্ড অকল্যান্ড জানতে পারেন। সমর্থনের জন্য দোস্ত মুহাম্মদ খান রুশদের সাথে হাত মেলাতে পারেন এমন সম্ভাবনা ছিল। ১৮৩৮ সালে আফগান ও রুশদের মধ্যে আলোচনা ভেঙে যাওয়ার পর ভারতে রুশ আগ্রাসন নিয়ে ব্রিটিশদের ভীতি আরো ঘনীভূত হয়। পারস্যের কাজার রাজবংশ রুশদের সহায়তায় হেরাত অবরোধ করে কিন্তু ব্রিটিশরা যুদ্ধের হুমকি দেয়ার পর তারা পিছিয়ে আসে।",
"তৃতীয় ইঙ্গ-আফগান যুদ্ধ\nদ্বন্দ্ব প্রথম শুরু হয় ৩রা মে ১৯১৯ সালে যখন আফগান বাহিনী খাইবার পাশের পশ্চিমের শেষাংশের সীমানা অতিক্রম করে এবং বাগ নামের শহরটি দখল নেয়। অবস্থানগত কারনে বাগ শহরটি ভারত ও ব্রিটিশ দের নিকট অনেক গুরুপ্তপূর্ণ ছিল কারণ এটি লানডি কোটাল এর পানি সরবরাহ করতো। আর লানডি কোটালে ব্রিটিশ ভারতিয় দুইটি কোম্পানি সেনা বাহিনী এর গ্যারিসন করেছিল। যদিও এই আক্রমনকে ছোট একটি সিমানা লঙ্ঘন হিসেবে দেখা হয় প্রকৃতভাবে এটা ছিলা আক্রমনের এক বিশাল পরিকল্পনা। কারণ যেটাই ছিল অনুসুচি এর বাইরেই আক্রমন শুরু হয়েছিল, কারণ আমানুল্লাহ এর পরিকল্পনা ছিল ৮ই মে তে পেশাওয়ার দখল নেয়ার। এর মাধ্যমে উত্তর পশ্চিম সীমানার ব্রিটিশ চিফ কমিশনার- স্যার জর্জ রুজ কেপ্পেল আগেই সতর্ক হয়ে যান, যিনি পুরো পরিকল্পনাই ধরতে পেরেছিলেন। এবং তিনি ভাইসরয়, লর্ড কেল্মসফোর্ড কে বোঝাতে সক্ষম হোন যে বাগ এর আক্রমণের সাড়া আগেই দেয়া লাগবে যাতে করে আক্রমণ পেশাওয়ার পর্যন্ত এগুতে না পারে।"
] | 6 |
কাজ অনুসারে মোট কত রকমের মৌমাছি হয় ? | [
"মৌমাছি\nমৌমাছি বা মধুমক্ষিকা বা মধুকর () বোলতা এবং পিঁপড়ার সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কযুক্ত মধু সংগ্রহকারী পতঙ্গবিশেষ। মধু ও মোম উৎপাদন এবং ফুলের পরাগায়ণের জন্য প্রসিদ্ধ। পৃথিবীতে ৯টি স্বীকৃত গোত্রের অধীনে প্রায় বিশ হাজার মৌমাছি প্রজাতি আছে, যদিও এর বেশিরভাগেরই কোন বর্ণনা নেই এবং এর প্রকৃত সংখ্যা আরো বেশী হতে পারে। এন্টার্কটিকা ব্যতীত পৃথিবীর সকল মহাদেশে যেখানেই পতঙ্গ-পরাগায়িত সপুষ্পক উদ্ভিদ আছে, সেখানেই মৌমাছি আছে। বাংলাদেশে সচরাচর যে মৌমাছি দেখা যায় তার বৈজ্ঞানিক নাম \"Apis cerana\" (\"এপিস সেরানা\") এই অঞ্চলে আরো তিন প্রজাতির মৌমাছি দেখা যায় যথা \"এপিস মেলিফেরা\", \"এপিস ডরসাটা\" ও \"এপিস ফ্লোরিয়া\"।"
] | [
"মৌমাছি পালন\nবাংলাদেশে সাধারণত তিন প্রজাতির মৌমাছি পাওয়া যায়।একটি মৌচাকে বা পরিবারে তিন শ্রেণীর মৌমাছি থাকে, যথা: (১) রাণী, (২) পুরুষ ও (৩) শ্রমিক মৌমাছি।",
"মৌমাছি পালন\nমৌমাছির চাক মোম দিয়ে তৈরী। চাক ছোট ছোট খোপ বিশিষ্ট। প্রতিটি খোপে থাকে ছয়টি দেওয়াল। তবে শিশু শ্রমিকের ও মধু জমানোর খোপগুলো পরিমাপে একটু ছোট, শিশু পুরুষদের একটু বড় এবং শিশু রাণীর বেশ বড় ও লম্বাটে। শিশুদের খুপগুলো সাধারণত চাকের নিচের দিকে ও মধু জমানোর খুপগুলো উপরের দিকে থাকে। শিশু রাণীর খোপে থাকে সাধারণত চাকের নিচের দিকের কিনারায়। ডিম পাড়ার পূর্বে রাণী দেখে নেয় খোপের মাপ, যাতে নির্দিষ্ট মাপের খোপে নির্দিষ্ট প্রকারের ডিম পাড়ে। ডিম পাড়ার তিন দিনের মধ্যে ডিম ফুটে শ্রককীট বা শিশু মৌমাছি বেড়িয়ে আসে। শ্রমিক মৌমাছি এসব শিশু মোমাছিদের প্রথম তিন দিন মধু ও পরাগরেণুর পাশাপাশি রাজসুধা খেত দেয়। রাজসুধা তৈরী হয় শ্রমিক মৌমাছির মুখের এক বিশেষ গ্রন্থি থেকে । প্রায় ৮/৯ দিন পর শ্রমিকের সব শুককীটের মুখ মোম দিয়ে বন্ধ করে দেয়। এ বন্ধ খোপের মধ্যে শুককীট মুককীটে বা পুত্তলিতে রুপান্তরিত হয়। ভাবী রাণীর ক্ষেত্রে খোপের বন্ধ থাকার সময় প্রায় ৭ দিন, শ্রমিকের ক্ষেত্রে ১২ দিন ও পুরুষদের ক্ষেত্রে ১৫ দিন। এরপর মুককীট পূর্ণ বয়স্ক মৌমাছিতে রুপান্তরিত হয় এবং খোপের মুখ কেটে বেড়িয়ে আসে।",
"মৌমাছি পালন\nমৌমাছি পালন প্রকল্প স্থাপনের জন্য আলাদাভাবে কোনো জায়গার প্রয়োজন হয় না। বাড়ির আনাচে-কানাচে, ঘরের বারান্দায়, ছাদে কিংবা বাগানেও মৌ-বাক্স রাখা যায়। অ্যাপিস সেরানা প্রজাতির ৫টি মৌ-কলোনি সম্বলিত মৌ-খামার স্থাপনের জন্য মোট বিনিয়োগ হবে ১৫-১৬ হাজার টাকা। প্রতিবছর গড়ে প্রতি বাক্স থেকে ১০ কেজি মধু পাওয়া যাবে, যার বাজারমূল্য ২৫০ টাকা হিসেবে ২৫০০ টাকা। এ হিসেবে ৫টি বাক্স থেকে উত্পাদিত মধুর মূল্য দাঁড়াবে ৫–১০ কেজি – ২৫০ টাকা (প্রতি কেজি)= ১২,৫০০ টাকা। এই আয় ১০-১৫ বছর অব্যাহত থাকবে অর্থাৎ প্রথমে মাত্র একবার ১৫-১৬ হাজার টাকা ব্যয় করে প্রকল্প স্থাপন করলে মৌ-বাক্স এবং অন্যান্য সরঞ্জামাদি ১০-১৫ বছর ব্যবহার করা যাবে। আর কোনো বিনিয়োগ বা খরচ নেই বললেই চলে।",
"মোম\nমধু মৌমাছি মোম ব্যবহার করে মৌচাকের কোষগুলি তৈরি করে যেখানে তাদের বাচ্চাদের মধু খাইয়ে বড় করা হয় এবং পরাগ কোষগুলি সংরক্ষণের জন্য আবৃত করা হয়। মোম তৈরি করার জন্য কর্মী মৌমাছির জন্য, মধুচক্রের পরিপূর্ণ তাপমাত্রা ৩৩ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড থেকে ৩৬ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড (৯১ ডিগ্রী ফারেনহাইটে ৯৭ ডিগ্রি ফারেনহাইট) হতে হবে। মোম উত্পাদন করতে মৌমাছির দ্বারা ব্যবহৃত মধুর পরিমাণ নিখুঁতভাবে নির্ধারণ করা হয় নি।\nযখন মৌমাছিপালনকর্তা মধু বের করে, তখন তারা একটি খোলা ছুরি বা মেশিন দিয়ে প্রতিটি মৌচাকের কক্ষ থেকে মোমের আবরণ কেটে বার করে। এর রংটি প্রায় সাদা থেকে বাদামী পর্যন্ত পরিবর্তিত হয়, কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রে এটি হলুদাভ রঙের হয় যা বিশুদ্ধতা, অঞ্চল এবং মৌমাছি দ্বারা সংগৃহীত ফুলের ধরনের উপর নির্ভর করে। কৃত্রিম মৌচাকের বাচ্চা পালন কক্ষের মোম মৌচাকের মোমের থেকে গাঢ় হতে থাকে। অপদ্রব্যগুলো বাচ্চা পালন কক্ষে দ্রুতগতিতে বাড়তে থাকে। মোম ব্যবহার করার আগে পরিস্রুত করতে হয়। শুদ্ধ মোমের অবশেষকে বলা হয় স্লামগাম। জলে গরম করে মোমকে আরো পরিষ্কার করা যেতে পারে। কক্ষ তাপমাত্রায় কার্যকর করার জন্য পেট্রোলিয়াম মোম হিসাবে, এটা খনিজ তেল বা উদ্ভিজ্জ তেল দিয়ে পাতলা করা হতে পারে।",
"মৌমাছি পালন\nঅন্যদিকে অ্যাপিস মেলিফেরা প্রজাতির ৫টি মৌ-কলোনি সম্বলিত মৌ-খামার স্থাপনের জন্য মোট ব্যয় হবে ২৫ থেকে ২৭ হাজার টাকা। এক্ষেত্রেও ১০-১৫ বছর পর্যন্ত মৌ-বাক্স ও অন্যান্য যন্ত্রপাতি এবং সরঞ্জামাদি ব্যবহার করা যাবে। আর কোনো অর্থ বিনিয়োগ করতে হবে না। মেলিফেরা প্রজাতির প্রতিটি মৌ-বাক্স থেকে বছরে ৫০ কেজি পর্যন্ত মধু সংগ্রহ করা সম্ভব, যার বাজারমূল্য ৫০ কেজি –২৫০ টাকা (প্রতিকেজি) – ৫টি বাক্স= ৬২,৫০০ টাকা। প্রকল্প স্থাপনের ক্ষেত্রে মাত্র ২৫-২৭ হাজার টাকা এককালীন বিনিয়োগ করে প্রতিবছর ৬০ হাজার টাকার ঊর্ধ্বে আয় করা সম্ভব। মৌ-বাক্সের সংখ্যা প্রতিবছর বৃদ্ধির মাধ্যমে এ আয় অনেকগুণ বৃদ্ধি করা সম্ভব। স্বল্প পরিশ্রমে এ ধরনের প্রকল্প স্থাপনের মাধ্যমে একদিকে যেমন আর্থিক দিক থেকে লাভবান হওয়া যায়, তেমনি পরাগায়ন প্রক্রিয়ায় সহায়তা দানের মাধ্যমে দেশের ফল ও ফসলের উত্পাদনে পরোক্ষভাবে সহযোগিতা দান করা যায়।",
"মৌমাছি পালন\nবাংলাদেশে প্রধানত ভারতীয় মৌমাছি লালন-পালন করা হয়। এ মৌমাছির বাক্স সাধারণত কাঠাল কাঠের তৈরী এবং ২৮.৬ সে.মি x ২৭.৭ সে.মি x ১৭.৪ সে.মি মাপ বিশিষ্ট হয়। এর নিচের দিকে খোলা, যা একটি কাঠের পাটাতনের উপর বসানো থাকে। বাক্সের উপর কাঠের একটি ঢাকনা থাকে। ঢাকনার নিচে সাতটি সমান্তরাল কাঠের ফ্রেম থাকে । এ মৌমাছিরা চাক বাঁধে। এ প্রকোষ্ঠের উপর ফ্রেমসহ আরেকটি প্রকোষ্ঠ বসানো থাকে। উপরের প্রকোষ্ঠকে মধু প্রকোষ্ঠ ও নিচের প্রকোষ্ঠকে বাচ্চা প্রকোষ্ঠ বলে। যে স্থানটি অপেক্ষাকৃত উচু, নির্জন, ধোয়া অথবা গ্যাসমুক্ত, শুকনো এবং ছায়াযুক্ত এবং আশে-পাশে পর্যাপ্ত ফুল সমৃদ্ধ গাছ-গাছড়া আছে সেখানে মৌমাছির বাক্স বসাতে হয়।",
"মৌমাছি পালন\nপ্রকৃত থেকে ভারতীয় মৌমাছি (রাণী ও কিছু শ্রমিক) সংগ্রহ করে অথবা প্রতিষ্টিত মৌচাষীর নিকট থেকে ক্রয় করে মৌচাষ কার্যক্রম আরম্ভ করা হয়। বাক্সবন্দীর প্রথম ৩/৪ দিন কৃত্রিম খাবার যথা চিনির ঘন সরবত বা সিরাপ দেবার প্রয়োজন হয়। এরপর মৌমাছিরা নিজেদের খাবার নিজেরা সংগ্রহ করে থাকে। কখনো কখনো পরিবেশে খাবার ঘাটতি পড়লে ও কৃত্রিম খাবার দেওয়ার প্রয়োজন হয়।",
"মৌমাছি পালন\nমৌমাছি পালন () ফলিত প্রাণিবিজ্ঞান এর একটি শাখা। মৌমাছি কে তাদের প্রাকৃতিক পরিবেশ থেকে এনে মৌচাকের উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টি করে আধুনিক ওবৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে পালন করাকেই মৌমাছি পালন বলা হয়। পালনের জন্য ভারতীয় জাতের মৌমাছি সবচেয়ে উপযোগী। ছোট সেনালি বর্ণের ও সাদা ডোরাকাটা এ মৌমাছিরা গাছের গর্তে বা অন্য কোন গহবরে একাধিক সমান্তরাল চাক তৈরি করে বসবাস করে। গর্তে প্রবেশ পথের সঙ্গে চাকগুলো সমান্তরালভাবে সাজানো থাকে। মৌমাছিদের এরূপ বাসস্থানের সাথে সামঞ্জস্য রেখে তৈরি করা হয় কাঠের বাক্স। কাঠের মৌবাক্স মৌমাছি পালনই আধুনিক ব্যবস্থা।",
"মৌমাছি পালন\nএ সময়ে প্রকৃতিতে প্রচুর ফুল পাওয়া যায়। মৌমাছিদের সংগ্রহীত পরাগরেণু বাচ্চা মৌমাছিদের খাওয়ানো হয়। ফুলের রস দিয়ে মৌমাছিরা মধু তৈরি করে মধুঘরের চাকে জমা করে। মধু রাখার স্থানের যাতে অভাব না হয় এজন্য মধু ঘরে আরও নতুন চাক দিতে হবে। চাকের শতকরা ৭৫টি কঠুরি যখন ঘন মধুতে ভরে মৌমাছিরা ঢাকনা দিয়ে ফেলবে, তখন সে চাক থেকে মদু নিষ্কাশন করে নিতে হবে। প্রয়োজনবোধে মৌমাছি পালনক্ষেত্র তেকে কিছু মৌবাক্স সরিয়ে অন্য স্থানে নিতে হবে যাতে বিশেষ কোনো এলাকা থেকে মৌমাছিরা আরও বেশি মধু সঞ্চয় করতে পারে। শীতের প্রচন্ড প্রকোপে মৌমাছিদের যেন কষ্ট না হয় এজন্য শীতের রাতে মৌবাঙ্টি চট বা ছালা দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে।",
"মাইক্রোসফট এক্সেল\nমাইক্রোসফট এক্সেলের ফাইলকে ওয়ার্কবুক বলা হয়। ফাইলের যে অংশে কাজ করা হয় তাকে কার্যক্ষেত্র (ওয়ার্কশীট) বলে। কতগুলো ওয়ার্কশীট নিয়ে এক একটা ওয়ার্কবুক বা বুক তৈরি হয়। প্রতিটি ওয়ার্কশীটে আবার ২৫৬টি কলাম এবং ৬৫৫৩৬ টি রো থাকে। স্তম্ভ (কলাম) গুলোকে A,B,C...AA,AB...BA,BB,BC...IV ইত্যাদি নামকরণ করা হয়। অন্যদিকে সারি (রো) গুলোর নম্বর ১ থেকে শুরু করে ৬৫৫৩৬।"
] | 14 |
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান (২০১৯) রাষ্ট্রপতির নাম কী ? | [
"মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতিদের তালিকা\nমার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতিদের নামের তালিকায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম রাষ্ট্রপতি জর্জ ওয়াশিংটন থেকে বর্তমান রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প পর্যন্ত সকল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতিদের নামের তালিকা দেয়া হয়েছে। কেবল সে ব্যক্তিদের নামই উল্লেখ করা হয়েছে যারা ১৭৮৯ সালে কার্যকর হওয়া মার্কিন সংবিধান অনুযায়ী নির্দিষ্ট নিয়মে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতির পদে বহাল হয়েছেন। এই সময়ের আগে যারা যুক্তরাষ্ট্রের সরকার প্রধান ছিলেন বা বিভিন্ন সময়ে সরকার পরিচালনা করেছেন তাদের তালিকা দেয়া হয়েছে এই নিবন্ধে: কন্টিনেন্টাল কংগ্রেসের সভাপতি। এই তালিকায় কোন ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতির নাম উল্লেখ করা হয়নি। যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের ২৫তম সংশোধনীতে ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতির পদ সৃষ্টি করা হয়েছিল।",
"রিপাবলিকান পার্টি (যুক্তরাষ্ট্র)\nএ পর্যন্ত ১৯ জন প্রেসিডেন্ট রিপাবলিকান দল থেকে নির্বাচিত হয়েছেন যাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হিসেবে আছেন রিপাবলিকান দল থেকে প্রথম নির্বাচিত হওয়া ১৬ তম মার্কিন রাষ্ট্রপতি অ্যাব্রাহাম লিংকন যিনি ১৮৬১ সাল থেকে ১৮৬৫ সালে আততায়ীর হাতে খুন হওয়ার আগ পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি পদে নিয়োজিত ছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫ তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে রিপাবলিকান দল থেকে ক্ষমতাসীন রাষ্ট্রপতি হিসেবে বর্তমানে আসীন আছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, যিনি ২০১৭ সালের ২০ জানুয়ারী আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁর দাপ্তরিক কাজ শুরু করেন।"
] | [
"জেমস বিউকানান\nজেমস বিউকানান (ইংরেজি: James Buchanan \"জেইম্জ়্ বিউক্যানান্\") (২৩ এপ্রিল ১৭৯১ – ১ জুন ১৮৬৮) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পঞ্চদশ রাষ্ট্রপতি। তিনি মার্কিন স্বাধীনতা যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে ১৮৫৭ থেকে ১৮৬১ সাল পর্যন্ত রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ডেমোক্র্যাটিক পার্টির সদস্য ছিলেন। রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পূর্বে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ১৭তম পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন এবং সিনেট ও হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভের দায়িত্ব পালন করেন।",
"অ্যান্ড্রু জনসন\nঅ্যান্ড্রু জনসন (২৯ ডিসেম্বর ১৮০৮ – ৩১ জুলাই ১৮৭৫) ছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সপ্তদশ রাষ্ট্রপতি। তিনি ১৮৬৫ থেকে ১৮৬৯ সাল পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি ছিলেন। আব্রাহাম লিংকন আততায়ীর হাতে মারা যাওয়ার সময় তিনি উপ-রাষ্ট্রপতি ছিলেন। স্নায়ুযুদ্ধ শেষ হওয়ার পর তিনি উপ-রাষ্ট্রপতির পদ অধিকার করেন।",
"মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি\nমার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি হলেন দেশটির সরকার ও রাষ্ট্রের প্রধান। রাষ্ট্রতি সেদেশের ফেডারেল শাখাগুলোর নির্বাহী শাখাগুলোর প্রধান এবং তার দায়িত্ব হল সংবিধানের মাধ্যমে প্রদত্ত এবং কংগ্রেস কর্তৃক লিখিত রাষ্ট্রীয় আইনের যথাযথ প্রয়োগ করা। যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের দ্বিতীয় ধারার মাধ্যমে রাষ্ট্রপতিকে সশস্ত্র বাহিনীর প্রধানের দায়িত্ব অর্পণ করা হয়েছে এবং তাকে দেয়া হয়েছে প্রভূত ক্ষমতা। শুধুমাত্র রাষ্ট্রপতির জন্য কিছু নির্দিষ্ট ক্ষমতা রয়েছে, যেমন, তিনি কংগ্রেসের উভয় কক্ষের ভোটে পাশ হয়ে আসা কোন বিল বা আইনেও ভেটো প্রয়োগ করতে পারেন। তিনি নিজের মত করে একটি উপদেষ্টা কেবিনেট তৈরি করতে পারেন এবং বিশেষ ক্ষমা ঘোষণা করতে পারেন। সিনেটের আস্থা ও উপদেশে তিনি বিভিন্ন চুক্তি সম্পাদন করতে পারেন, বিভিন্ন যুক্তরাষ্ট্রীয় দূত, বিচারক এবং এমনকি সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দিতে পারেন। অবশ্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের অন্যান্য কিছু কর্মকর্তার মত রাষ্ট্রপতিরও ক্ষমতাকেও কিছুটা সীমাবদ্ধ করা হয়েছে যাতে কোন একক ব্যক্তি নিরঙ্কুশ প্রভাব-প্রতিপত্তি অর্জন করতে না পারে।",
"জন টাইলার\nজন টাইলার (২৯ মার্চ ১৭৯০ – ১৮ জানুয়ারি ১৮৬২) ছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দশম রাষ্ট্রপতি। তিনি ১৮৪১ থেকে ১৮৪৫ সাল পর্যন্ত রাষ্ট্রপতিত্ব করেন। এর পূর্বে তিনি ১৮৪১ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দশম উপ-রাষ্ট্রপতি ছিলেন। হেনরি উইলিয়াম হ্যারিসনের সাথে ১৮৪০ হুইগ টিকেট পাওয়ার মাধ্যমে তিনি উপ-রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। উপ-রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পাওয়ার মাত্র এক মাস পরে ১৮৪১ সালের এপ্রিল মাসে হ্যারিসনের মৃত্যুর পর তিনি রাষ্ট্রপতিত্ব গ্রহণ করেন।",
"জেরাল্ড ফোর্ড\nজেরাল্ড ফোর্ড (পুরোনামঃ জেরাল্ড রুডলফ ফোর্ড)(ইংরেজিঃ Gerald Rudolph Ford)(জন্ম জুলাই ১৪, ১৯১৩- ডিসেম্বর ২৭, ২০০৬) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৩৮তম রাষ্ট্রপতি। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের ২৫ তম সংশোধনীর অধীনে উপ-রাষ্ট্রপতির পদ লাভ কারী প্রথম ব্যক্তি, এবং এখন পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে একমাত্র রাষ্ট্রপতি যিনি রাষ্ট্রপতি বা উপরাষ্ট্রপতি - কোন পদেই নির্বাচিত হন নাই।তিনি ৪০তম উপ-রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।ঠান্ডা যুদ্ধের সময় হেলসিঙ্কি চুক্তির স্বাক্ষরের জন্য তিনি বিখ্যাত। \n২০০৬ সালের ২৭ ডিসেম্বর জেরাল্ড ফোর্ড মৃত্যবরণ করেন।",
"ডোয়াইট ডি. আইজেনহাওয়ার\nডোয়াইট্ ডি. আইজেনহাওয়ার (Dwight D. Eisenhower) (অক্টোবর ১৪, ১৮৯০ – মার্চ ২৮, ১৯৬৯) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৩৪তম রাষ্ট্রপতি। তিনি ১৯৫৩ থেকে ১৯৬১ সাল পর্যন্ত রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় তিনি মার্কিন সেনাবাহিনীর একজন পাঁচ তারকাবিশিষ্ট জেনারেল ছিলেন। ইউরোপে মিত্র সেনাবাহিনীর ত্বরিৎ শক্তিবাহিনীর সর্বাধিনায়ক (Supreme Commander) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৫১ সালে তিনি নেটোর প্রথম সর্বাধিনায়ক নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৫২ সালে রিপাবলিকান পার্টির মনোনীত প্রার্থী হিসেবে \"সাম্যবাদ, কোরিয়া ও দুর্নীতি\"-র বিরুদ্ধে প্রচারণা চালান এবং বিপুল ভোটে নির্বাচিত হন। ঠান্ডা যুদ্ধে সোভিয়েত প্রজাতন্ত্রের উপর চাপ বৃদ্ধি করা ও কেন্দ্রীয় সরকারের বাজেট ঘাটতি কমানো ছিল তার প্রশাসনের মূল দুই লক্ষ্য।",
"মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচন\nমার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দল নির্বাচন করার পরিবর্তে একটি নির্দিষ্ট প্রার্থী জন্য ভোট। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানে রাজনৈতিক দলগুলোর ইস্যুকে আনুষ্ঠানিকভাবে উল্লেখ করা হয়নি। সংবিধান লেখার সময় আলেকজান্ডার হ্যামিলটন এবং জেমস ম্যাডিসন প্রতিষ্ঠার পিতা যেমন ঘরোয়া রাজনৈতিক দলের সমর্থন করেননি। উপরন্তু, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম রাষ্ট্রপতি জর্জ ওয়াশিংটন তার নির্বাচনের সময় বা রাষ্ট্রপতির মেয়াদে কোনো রাজনৈতিক দলের সদস্য ছিলেন না। উপরন্তু, তিনি আশা করেছিলেন যে রাজনৈতিক দল গঠন করা হবে না, দ্বন্দ্ব ও স্থগিততার ভয়ে। তা সত্ত্বেও, আমেরিকার দুই পক্ষের সিস্টেমের সূত্রপাত তার উপদেষ্টাদের তাত্ক্ষণিক বৃত্ত থেকে বেরিয়ে আসে, হ্যামিলটন এবং ম্যাডিসন এই উদীয়মান পার্টি পদ্ধতির মূল নেতা হওয়ার সাথে সাথে শেষ হয়ে যায়।",
"জন ফিট্জেরাল্ড কেনেডি\nজন ফিট্জেরাল্ড কেনেডি বা জন এফ. কেনেডি (ইংরেজি: John Fitzgerald Kennedy, বা John F. Kennedy) (মে ২৯, ১৯১৭ – নভেম্বর ২২, ১৯৬৩) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৩৫তম রাষ্ট্রপতি। তিনি JFK নামেও পরিচিত। তিনি ১৯৬১ সাল থেকে ১৯৬৩ সালে নিহত হওয়ার আগে পর্যন্ত রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন।\nদিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় তিনি দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরে Motor Torpedo Boat PT-109 এর কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এরপর তার পিতা, জোসেফ পি. কেনেডি, সিনিয়র, এর উৎসাহ আর সহযোগিতায় তিনি রাজনীতিতে আসেন এবং U.S. House of Representatives এর Massachusetts's 11th congressional district এ ১৯৪৭ থেকে ১৯৫৩ পর্যন্ত ডেমক্রেটদের প্রতিনিধিত্ব করেন। পরবর্তিতে তিনি সিনেটে ১৯৫৩ থেকে ১৯৬০ পর্যন্ত ডেমক্রেটদের প্রতিনিধিত্ব করেন। ১৯৬০ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তিনি তৎকালিন উপ-রাষ্ট্রপতি এবং রিপাবলিকান প্রাথী রিচার্ড নিক্সনকে পরাজিত করেন। তিনি থিওডর রুজভেল্ডের পর আমেরিকার দিতীয় কনিষ্টতম রাষ্ট্রপতি, বিংশ শতাব্দীতে জন্ম নেয়া প্রথম রাষ্ট্রপতি, এবং সর্বকনিষ্ট নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি। কেনেডি প্রথম ও একমাত্র ক্যাথলিক এবং প্রথম আইরিশ আমেরিকান রাষ্ট্রপতি। কেনেডি একমাত্র আমেরিকান রাষ্ট্রপতি যিনি পুলিৎজার পুরস্কার জিতেছেন।\n১৯৬৩ সালের ২২ নভেম্বর কেনেডি আততায়ীর গুলিতে নিহত হন। লি হার্ভি অসওয়াল্ডকে এই ঘটনার জন্য অভি্যুক্ত করা হয়। কিন্তু তার বিচার হয়নি কারণ দুইদিন পরেই জ্যাক রুবি নামক একজনের গুলিতে হার্ভি নিহত হয়। এফবিআই, ওয়ারেন কমিশন এবং হাউস সিলেক্ট কমিটি তদন্ত অনুসারে অসওয়াল্ডই ছিল কেনেডির আততায়ী।"
] | 0 |
সিন্ধু সভ্যতা আর হরপ্পা সভ্যতা কি এক ? | [
"সিন্ধু সভ্যতা\nপূর্ণবর্ধিত সময়কালে এই সভ্যতা হড়প্পা সভ্যতা নামে পরিচিত। হড়প্পা ছিল এই সভ্যতার প্রথম আবিষ্কৃত শহরগুলির অন্যতম। ১৯২০-এর দশকে তদনীন্তন ব্রিটিশ ভারতের পাঞ্জাব প্রদেশে প্রত্নতাত্ত্বিক খননকার্যের ফলে এই শহরটি আবিষ্কৃত হয়। ১৯২০ সাল থেকে সিন্ধু সভ্যতার প্রত্নস্থলগুলিতে খননকার্য চলছে। ১৯৯৯ সালেও এই সভ্যতার বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রত্নসামগ্রী ও আবিষ্কৃত হয়েছে। মহেঞ্জোদাড়ো সিন্ধু সভ্যতার একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র।",
"সিন্ধু সভ্যতা\nহরপ্পা সভ্যতার পূর্ণবর্ধিত সময়কাল ২৬০০ থেকে ১৯০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ পর্যন্ত স্থায়ী হয়েছিল। সিন্ধু সভ্যতার পূর্বসূরি আদি হরপ্পা সভ্যতা ও উত্তরসূরি পরবর্তী হরপ্পা সভ্যতার সময়কাল মিলিয়ে এই সভ্যতার পূর্ণ বিস্তারকাল খ্রিষ্টপূর্ব তেত্রিশ শতাব্দী থেকে খ্রিষ্টপূর্ব চতুর্দশ শতাব্দীর মধ্যবর্তী সময়। সিন্ধু সভ্যতার পর্ববিভাজনের ক্ষেত্রে যে দুটি শব্দ ব্যবহৃত হয় সেগুলি হল \"পর্ব\" ও \"যুগ\"। আদি হরপ্পা সভ্যতা, পূর্ণবর্ধিত হরপ্পা সভ্যতা ও পরবর্তী হড়প্পা সভ্যতাকে যথাক্রমে আঞ্চলিকীকরণ, সংহতি ও স্থানীয়ভবন যুগও বলা হয়ে থাকে। আঞ্চলিকীকরণ যুগের সূচনা নিওলিথিক মেহেরগড় ২ সময়কাল থেকে। ইসলামাবাদের কায়েদ-এ-আজম বিশ্ববিদ্যালয়ের আহমদ হাসান দানির মতে, \"মেহেরগড়ের আবিষ্কার সিন্ধু সভ্যতা সংক্রান্ত সম্পূর্ণ ধারণাটিই পরিবর্তিত করেছে। এর ফলে আমরা একেবারে গ্রামীন জীবনযাপনের সূচনালগ্ন থেকে সমগ্র সভ্যতাটির একটি পূর্ণ চিত্র প্রাপ্ত হয়েছি।\"",
"হরপ্পা\nসিন্ধু সভ্যতার (বা হড়প্পা সভ্যতা) মূল নিহিত রয়েছে ৬০০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দের মেহেরগড় সভ্যতার মধ্যে। পাঞ্জাব ও সিন্ধ অঞ্চলের সিন্ধু নদ উপত্যকায় ২৬০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ নাগাদ সিন্ধু সভ্যতার শ্রেষ্ঠ দু'টি শহর হড়প্পা ও মহেঞ্জোদাড়ো গড়ে ওঠে। এই সভ্যতায় লিখন ব্যবস্থা, নগরকেন্দ্র, সামাজিক ও অর্থনৈতিক বৈচিত্র্যের অস্তিত্ব ছিল। ১৯২০-এর দশকে সিন্ধের সুক্কুরের কাছে মহেঞ্জোদাড়োয় এবং লাহোরের দক্ষিণে পশ্চিম পাঞ্জাবের হরপ্পায় খননকার্য চালিয়ে সিন্ধু সভ্যতার ধ্বংসাবশেষ আবিষ্কার করা হয়। ভারতেও পূর্ব পাঞ্জাবের হিমালয়ের পাদদেশ থেকে দক্ষিণে গুজরাত পর্যন্ত এই সভ্যতার একাধিক কেন্দ্র আবিষ্কৃত হয়েছে। পশ্চিমে বালুচিস্তানেও এই সভ্যতার নিদর্শন পাওয়া গেছে। ১৮৫৭ সালে লাহোর-মুলতান রেলপথ নির্মাণের সময় হরপ্পা প্রত্নক্ষেত্রটি ক্ষতিগ্রস্থ হলেও, এখানকার অনেক পুরাদ্রব্যই আবিষ্কার করা সম্ভব হয়েছে।",
"সিন্ধু সভ্যতা\nকোনো কোনো পুরাতাত্ত্বিকের মতে, ঘগ্গর-হাকরা নদী ও তার উপনদীগুলির শুষ্ক খাতগুলির ধারে এই সভ্যতার ৫০০টিরও বেশি কেন্দ্র আবিষ্কৃত হয়েছে; যেখানে সিন্ধু ও তার উপনদীগুলির তীরে আবিষ্কৃত হয়েছে মাত্র ১০০টির মতো কেন্দ্র। এই কারণে তাঁরা এই সভ্যতাকে \"সিন্ধু ঘগ্গর-হাকরা সভ্যতা\" বা \"সিন্ধু-সরস্বতী সভ্যতা\" বলার পক্ষপাতী। তবে অন্যান্য ঐতিহাসিকগণ এই মতকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মনে করেন। তাঁদের মতে, সিন্ধু সভ্যতার বসতি ও কৃষি অঞ্চল ঘগ্গর-হাকরা মরু অঞ্চলে গড়ে ওঠেনি; এগুলির অধিকাংশই সিন্ধু অববাহিকার উর্বর অংশে অবস্থিত। দ্বিতীয়ত, ঘগ্গর-হাকরা উপত্যকায় প্রাপ্ত নিদর্শনস্থলের সংখ্যাটি অতিরঞ্জিত। তাছাড়া ঘগ্গর-হাকরা নদীটি নিজেই সিন্ধুর একটি উপনদী ছিল। তাই সিন্ধু সভ্যতার এই নতুন নামকরণ অযৌক্তিক। \"হরপ্পা সভ্যতা\" নামটি বরং অধিকতর সুপ্রযোজ্য। কারণ অনেক পুরাতাত্ত্বিক এই সভ্যতার প্রথম আবিষ্কৃত কেন্দ্রটির নামে সভ্যতার নামকরণ করার পক্ষপাতী।"
] | [
"প্রাচীন ভারত\nসুমেরীয় সভ্যতা ও সিন্ধু সভ্যতার মধ্যে সরাসরি সম্পর্ক স্থাপন করা দুঃসাধ্য। সুমেরীয়দের লিপি এবং সিন্ধু সভ্যতার লিপির মধ্যে তেমন মিল পাওয়া যায় না। তাছাড়া সিন্ধু সভ্যতার নগর পরিকল্পনা ও শিল্পকলাও অনন্য। তাই সিন্ধু সভ্যতা সুমেরীয় সভ্যতার সম্প্রসারণ নয়, বরং একক, আলাদা একটি সভ্যতা ছিল বলে ধারণা করা হয়। সিন্ধু সভ্যতার লোকেরা যে সিলমোহরগুলি ব্যবহার করত, সেগুলির সাথে সুমের তথা মেসোপটেমিয়ার সিলমোহরের মিল আছে। ধারণা করা হয় সুমেরদের সাথে সিন্ধুর লোকদের বাণিজ্য স্থাপিত হয়েছিল এবং সুমেরদের কাছ থেকে তারা সিলমোহরের ধারণাটি নিয়েছিল। সিন্ধু সভ্যতার বিভিন্ন দ্রব্য সুমেরে এবং সুমেরের দ্রব্য সিন্ধু সভ্যতার নগরগুলিতে পাওয়া গেছে। এই দুই সভ্যতার মধ্যস্থলে বর্তমান বাহরাইনে একটি প্রত্নতাত্ব্বিক স্থানের খোঁজ পাওয়া গেছে যেখানে এই দুই সভ্যতারই বিভিন্ন নিদর্শন দেখতে পাওয়া যায়; ধারণা করা হয় এই স্থানটি ছিল দুই সভ্যতার অন্তর্বর্তী একটি বাণিজ্যকেন্দ্র।",
"প্রাচীন ভারত\nসিন্ধু সভ্যতার যেসমস্ত নগরীর সন্ধান পাওয়া গেছে, তাদের মধ্যে আছে রাজস্থানের কালিবাঙ্গান, পাকিস্তানের হরপ্পা ও মহেঞ্জোদারো। এই তিনটি নগরী এবং আরো প্রায় দুশ ছোট বড় শহরের এক বিশাল নগর সভ্যতা পূর্বে ঊর্ধ্ব গঙ্গা এবং দক্ষিণে বর্তমান মুম্বাই শহর পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। সিন্ধু সভ্যতা আকারে ছিল সমসাময়িক প্রাচীন সভ্যতাগুলির মধ্যে সর্ববৃহৎ। সিন্ধু নদ এবং এর উপনদী ও শাখানদী ছিল এই সভ্যতার প্রাণ। সিন্ধু নদ হিমালয় পর্বতমালায় উৎপত্তিলাভ করে পাঞ্জাবের নিম্নভূমি ও ঊষর রাজস্থানের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে সিন্ধু মরুভূমির মধ্য দিয়ে আধুনিক করাচি শহরের কাছে গিয়ে সাগরে পড়েছে। গোটা সিন্ধু অববাহিকাই শুষ্ক অঞ্চল, বিশেষত এর দক্ষিণ অর্ধাংশ মরুভূমিই বলা চলে। তাই কৃষিকাজ ছিল পানিসেচের উপর নির্ভরশীল। বার্ষিক বন্যার কারণে পানির অভাব মিলত ও উর্বর পলির সঞ্চয় হত। কিন্তু বছরের বেশির ভাগ সময় গরম ও শুষ্ক ছিল বলে মিশর ও সুমেরের মত এখানেও সেচ ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটে। নদনদীগুলি সস্তায় ও সহজে বিভিন্ন কৃষিদ্রব্য পরিবহনের কাজেও লাগানো হত।",
"সিন্ধু সভ্যতা\nপাকিস্তানে হাকরা প্রণালী এবং ভারতের মরশুমি নদী ঘগ্গরের পরস্পর-প্রাবৃত প্রাচীন শুষ্ক নদীখাতের প্রমাণ পাওয়া যায়। সিন্ধু সভ্যতার অনেক কেন্দ্র ঘগ্গর-হাকরা নদী অববাহিকায় গড়ে উঠেছিল। এগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য রুপার, রাখিগড়ি, সোথি, কালিবঙ্গান ও গনওয়ারিওয়ালা। জে. জি. স্যাফার ও ডি. এ. লিচেনস্টাইনের মতে, হরপ্পা সভ্যতা হল \"ভারত-পাকিস্তান সীমান্তের ঘগ্গর-হাকরা উপত্যকার বাগোর, হাকরা ও কোটি ডিজ সম্প্রদায় বা ‘জাতিগোষ্ঠী’ সংমিশ্রণ।\"",
"মহেঞ্জোদাড়ো\nমহেঞ্জোদারো খ্রিস্টপূর্ব ২৬ শতাব্দীতে নির্মিত হয়েছিল। এটা প্রাচীন সিন্ধু সভ্যতার বৃহত্তম শহরগুলোর একটি, যেখানে আরেকটি প্রাগৈতিহাসিক শহর হরপ্পা গড়ে ওঠেছিল। সিন্ধু সভ্যতা বর্তমান পাকিস্তান ও উত্তর ভারতে ছিল, যার বিস্তৃতি ছিল ইরান সীমান্ত, দক্ষিনে ভারতের গুজরাট, উত্তরে বাক্ট্রিয়া পর্যন্ত, যার প্রধান প্রধান শহর ছিল হরপ্পা, মহেঞ্জোদারো, লোথাল, কালিবাঙ্গান, ধলাবিরা এবং রাখিগাড়ি। এদের মধ্যে মহেঞ্জোদারো ঐ সময়ে পুরকৌশল ও নগর পরিকল্পনায় শ্রেষ্ঠ ছিল। খ্রিস্টপূর্ব ১৯ শতাব্দীতে সিন্ধু সভ্যতার প্রায় আকস্মিক পতন ঘটে এবং মহেঞ্জোদাড়ো পরিত্যক্ত হয়।",
"সিন্ধু সভ্যতা\nসিন্ধু সভ্যতা ছিল একটি ব্রোঞ্জ যুগীয় সভ্যতা (৩৩০০ – ১৩০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ; পূর্ণবর্ধিত কাল ২৬০০ – ১৯০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ)। এই সভ্যতার কেন্দ্র ছিল মূলত ভারতীয় উপমহাদেশের পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত সিন্ধু নদ অববাহিকা। প্রথম দিকে এই সভ্যতা পাঞ্জাব অঞ্চলের সিন্ধু অববাহিকায় বিকাশ লাভ করে। পরে তা প্রসারিত হয় ঘগ্গর-ভাকরা নদী উপত্যকা ও গঙ্গা-যমুনা দোয়াব অঞ্চল পর্যন্ত। বর্তমান পাকিস্তান রাষ্ট্রের প্রায় সম্পূর্ণ অংশ, ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের পশ্চিমদিকের রাজ্যগুলি, দক্ষিণ-পূর্ব আফগানিস্তান এবং ইরানের বালোচিস্তান প্রদেশের পূর্ব অংশ এই সভ্যতার অন্তর্গত ছিল।",
"সিন্ধু সভ্যতা\nসিন্ধু সভ্যতার বিস্তার ছিল বেলুচিস্তান থেকে সিন্ধু প্রদেশ পর্যন্ত প্রায় সমগ্র পাকিস্তান, আধুনিক ভারতের গুজরাত, রাজস্থান, হরিয়ানা ও পাঞ্জাব রাজ্য। উত্তরে এই সভ্যতা উচ্চ শতদ্রু অববাহিকার রুপার পর্যন্ত প্রসারিত ছিল। সিন্ধু সভ্যতার উদ্ভব মিশর ও পেরুর প্রাচীন সভ্যতার মতো উচ্চভূমি, মরুভূমি ও সমুদ্রবেষ্টিত উর্বর কৃষিজমিতে হয়েছিল। সাম্প্রতিক কালে পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশেও সিন্ধু সভ্যতার নিদর্শন আবিষ্কৃত হয়েছে। আফগানিস্তানেও সিন্ধু সভ্যতার কয়েকটি উপনিবেশের সন্ধান পাওয়া গেছে। এই সভ্যতার কয়েকটি বিচ্ছিন্ন উপনিবেশের সন্ধান পাওয়া গেছে তুর্কমেনিস্তান ও গুজরাতেও। পশ্চিম বেলুচিস্তানের সুকতাগান ডোর ও গুজরাতের লোথাল ছিল এই সভ্যতার উপকূলীয় বসতি অঞ্চল। উত্তর আফগানিস্তানের শোর্তুঘাইতে অক্সাস নদীর ধারে, উত্তর-পশ্চিম পাকিস্তানে গোমাল নদী উপত্যকায়, ভারতের জম্মুর কাছে বিপাশা নদীর তীরে মান্ডাতে এবং দিল্লি থেকে ২৮ কিলোমিটার দূরে হিন্দোন নদীর তীরে আলমগিরপুরেও সিন্ধু সভ্যতার নিদর্শন আবিষ্কৃত হয়েছে। সিন্ধু সভ্যতার প্রধান কেন্দ্রগুলি নদীতীরে আবিষ্কৃত হলেও, বালাকোটের মতো প্রাচীন সমুদ্র সৈকতেও কতকগুলি কেন্দ্র আবিষ্কৃত হয়েছে। যেমন, বালাকোট। আবার দ্বীপেও এই সভ্যতার প্রাচীন কেন্দ্র আবিষ্কৃত হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, ধোলাবীরার নাম করা যায়।"
] | 90 |
খ্রিস্টধর্মের পবিত্র ধর্মগ্রন্থের নাম কী ? | [
"ধর্মগ্রন্থ\nহিব্রু বাইবেল () বলতে ইহুদি ও খ্রিস্টানদের ধর্মীয় পুস্তকাবলীর সাধারণ অংশকে বোঝায়। পণ্ডিতেরা খ্রিস্টানদের পুরাতন বাইবেল () বা ইহুদিদের তানাখ () (যে গ্রন্থগুলো প্রকৃতপক্ষে একই) বোঝাতে গিয়ে এই পরিভাষাকেই নিরপেক্ষ মনে করে ব্যবহার করেন। হিব্রু বাইবেলকে ইহুদিরা তানাখ বলে থাকে। গ্রন্থটির তিনটি অংশের আদ্যক্ষরের সমন্বয়ে তানাখ শব্দটি গঠিত। ইসলাম ধর্মবিশ্বাসীগণ বিশ্বাস করেন মুসা (আঃ) এর উপর তাওরাত কিতাব নাজিল হয়। কিন্তু তারা তানাখকে তাওরাত কিতাব বলে স্বীকৃতি দেয় না।",
"খ্রিস্ট ধর্ম\nখ্রিস্টধর্মের অনুসারীরা একটি ধর্মীয় পুস্তকসমগ্র অনুসরণ করে, যার সামগ্রিক নাম বাইবেল। বাইবেলের পুস্তকগুলিকে দুইটি বড় অংশে ভাগ করা হয়েছে: পুরাতন নিয়ম ও নতুন নিয়ম। খ্রিস্টানেরা বাইবেলের পুরাতন ও নতুন নিয়মের সমস্ত পুস্তককে ঈশ্বরের পবিত্র বাণী হিসেবে গণ্য করেন। পুরাতন নিয়ম অংশটি হিব্রু বাইবেল (বা তানাখ) এবং অব্রাহামের পৌত্র যাকব তথা ইসরায়েলের বংশধরদের লেখা অনেকগুলি ধর্মীয় পুস্তক নিয়ে গঠিত। খ্রিস্টধর্মের সবচেয়ে জনপ্রিয় শাখা ক্যাথলিক শাখাতে অনুমোদিত পুস্তকতালিকা অনুযায়ী বাইবেলের পুরাতন নিয়ম অংশে ৪৬টি পুস্তক আছে। এই পুস্তকগুলি বহু শতাব্দী ধরে বিভিন্ন সময়ে খ্রিস্টপূর্ব ৮ম শতক থেকে খ্রিস্টপূর্ব ২য় শতক পর্যন্ত মূলত হিব্রু ভাষাতে রচিত হয়।"
] | [
"গিরিশ চন্দ্র সেন\nগিরিশচন্দ্র সেন (জন্ম: ১৮৩৪ - মৃত্যু: ১৯১০)। ভাই গিরিশচন্দ্র সেন নামে তিনি অধিক পরিচিত। তাঁর প্রধান পরিচয় ইসলাম ধর্মের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কুরআন- এর প্রথম বাংলা অনুবাদক হিসেবে। তখন প্রায় ধর্মগ্রন্থ সম্পর্কে সাধারণ মানুষের ধারণা ছিল যে, মূলভাষা থেকে অনূদিত হলে গ্রন্থটির পবিত্রতা ক্ষুণ্ন হবে। পবিত্র কুরআন সম্পর্কেও এমন ধারণা ছিল। এ কারণে অনেক মুসলিম মনীষী এর বঙ্গানুবাদ করতে সাহস পাননি। গিরিশচন্দ্র সেনই অন্য ধর্মালম্বী হয়েও এই ভয়কে প্রথম জয় করেন। শুধু কুরআন শরীফের অনুবাদ নয় তিনি ইসলাম ধর্ম বিষয়ক অনেক গ্রন্থ অনুবাদ করেন। তিনি ইসলাম ধর্ম নিয়ে অনেক গবেষণাও করেন।",
"ঈসা\nঈসা ইবনে মারিয়াম (), যিনি খ্রিস্টধর্মের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ বাইবেলের নূতন নিয়মে যিশু নামে পরিচিত, ইসলাম ধর্মে একজন অদ্বিতীয় ও গুরুত্বপূর্ণ নবী ও রাসূল (আল্লাহ বা একেশ্বরের বার্তাবাহক ও প্রচারক) হিসেবে স্বীকৃত। ইসলামের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ আল কুরআনে ঈসা ও তাঁর মা মরিয়ম (মেরি) সম্পর্কে অনেক বর্ণনা দেওয়া আছে। ইসলামে ঈসাকে \"মসিহ\" উপাধি দেওয়া হয়েছে, যার অর্থ \"ত্রাণকর্তা\"। কুরআন ও হাদিসে \"সময়ের সমাপ্তি\" সংক্রান্ত বিভিন্ন ঘটনাবলির এক গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র হলেন ঈসা। আল কুরআনে ঈসার মা মরিয়মকে উপজীব্য করে একটি সম্পূর্ণ অধ্যায় বা সুরা রয়েছে, যার নাম সুরা মরিয়ম।",
"কলিসন্তরণোপনিষদ্\nএই উপনিষদ্টি সম্ভবত ১৫০০ খ্রিস্টাব্দের পূর্বে রচিত হয়। খ্রিস্টীয় ১৬শ শতাব্দীতে গৌড়ীয় বৈষ্ণব ধর্মগুরু চৈতন্য মহাপ্রভু এটিকে জনপ্রিয় করে তোলেন। এই ছোটো গ্রন্থটিতে দুটি মাত্র শ্লোক আছে। এগুলিকে বলা হয় ‘মহামন্ত্র’। মন্ত্রে ‘হরে’ বা দেবী রাধার নাম আটবার উচ্চারিত হয়েছে। সেই সঙ্গে অপর দুই হিন্দু দেবতা কৃষ্ণ ও রামের নাম চারবার করে উচ্চারিত হয়েছে। এই গ্রন্থের মতে, এই মন্ত্রটি সজোরে উচ্চারণ করলে কলিযুগের সকল কুপ্রভাব কেটে যায়।\nহিন্দু বিশ্বতত্ত্ব অনুসারে, চার যুগের মধ্যে বর্তমান যুগটি হল কলিযুগ বা কলি (সংস্কৃত:कलि)। ‘সন্তরণ’ শব্দের অর্থ ‘সাঁতার কাটা’। গ্রন্থটির নামের অর্থ তাই, যে জ্ঞানের দ্বারা বর্তমান যুগকে সাঁতরে পার হওয়া যায়।\nএই গ্রন্থটি একটি বৈষ্ণব উপনিষদ্। ১৫০০ খ্রিস্টাব্দের পূর্বে এই গ্রন্থের রচনা সম্পূর্ণ হয়। ‘মহামন্ত্র’ নামে পরিচিত দুটি শ্লোক নিয়ে এই উপনিষদ্টি গঠিত। \"কলিসন্তরণোপনিষদ্\" হল আধুনিক যুগে রচিত একমাত্র গ্রন্থ যাতে কোনও বহুপ্রচলিত মন্ত্র রয়েছে। খ্রিস্টীয় ১৬শ শতাব্দীতে ভক্তি আন্দোলনের নেতা চৈতন্য মহাপ্রভু এই উপনিষদ্টি জনপ্রিয় করে তোলেন।",
"বন (ধর্ম)\nতোনপা শেন্রাব মিউওকের পুরাণের সাথে বন ধর্মের তিনটি পবিত্র ধর্মগ্রন্থেরর সম্পর্ক দৃশ্যমান। দু দুস (\"mdo 'dus) যের মিগ\" \"gzer mig) \" এবং যি ব্রিজ (\"gzi brjid) \"—এই তিন ধর্মগ্রন্থের মাঝে প্রথম দুইটি গতের মা ১০ম শতক এবং ১১শ শতকের দিকে পুনঃআবিষ্কার করেন। শেষের ধর্মগ্রন্থটি ১৪শ শতকের দিকে লদেন নিয়িংপো কর্তৃক মুখে মুখে প্রচারিত হয়। এই শতকেই লদেন নিয়িংপো \"প্রতিভা\" (), নামের ধর্মীয় বাণীমালার সূচনা করেন। এতে তোনপা শেনরাবের গল্প উঠে আসে। যদিও তিনি বন্ধর্মের প্রথম গ্তের-স্তোন নন, তবুও তার ধর্মগ্রন্থ বন ধর্মের অন্যতম প্রধান ধর্মীয়গ্রন্থ হয়ে ওঠে। এই ধর্মীয় গ্রন্থের বক্তব্য অনুযায়ী শেনরাব একদা দৈত্য কর্তৃক চুরি হয়ে যাওয়া ঘোড়া খুঁজতে বের হলে বন ধর্মের সূচনা করেন। পুরাণ মতে, শেনরাবের জন্ম তাকজিগ ওলমো লুং রিঙ্গঞ্চলে যা ঐতিহ্যগতভাবে ইয়ুং-দ্রুং-গু-যেগ পর্বত এবং কৈলাস পর্বত ( খুব সম্ভবত ) নামে স্বীকৃত। এই দুই পর্বতে পবিত্রতাকে বিবেচনায় রেখে, বন ধর্ম বিশ্বাসীরা নয় সংখ্যাটিকে এবং স্বস্তিকা চিহ্নকে সৌভাগ্য়ের প্রতীক এবং গুরুত্বের সাথে বিবেচিত হয়।",
"জুবিলী বাইবেল\nজুবিলী বাইবেল (Jubilee Bible) বাংলাদেশ ক্যাথলিক বিশপ সম্মিলনীর উদ্যোগে প্রকাশিত ক্যাথলিক খ্রীস্টানদের প্রধান ধর্মগ্রন্থ। এটি ১৯৯৯ সালে প্রথম প্রকাশ হয়। এটি অনুবাদ করেছেন সাধু বেনেডিক্ট মঠ। পবিত্র বাইবেলের এই অনুবাদটি তৃতীয় সহস্রাব্দীর জুবিলীর প্রাক্বালে প্রকাশিত বিধায় এটি ‘জুবিলী বাইবেল’ নামে আখ্যায়িত করা হয়। খ্র্রীস্ট বিশ্বাসীরা বিশ্বাস করে যে পবিত্র বাইবেল স্বয়ং ঈশ্বরের বাণী যাতে মানুষের প্রতি ঈশ্বরের যত্ন ও ভালবাসা প্রকাশিত হয়েছে। জুবিলী বাইবেল নতুন ও পুরাতন নিয়মে মোট ৭৩ জন লেখকের লেখা ও পত্র দিয়ে প্রকাশ করা হয়েছে। প্রটেষ্টান্ট খ্রীস্টানদের বাইবেলের চেয়ে জুবিলী বাইবেলের কিছুটা ভিন্নতা রয়েছে।",
"ইব্রাহিমীয় ধর্ম\nখ্রিস্টধর্ম সূচিত হয় ইহুদী ধর্মের একটি শাখা হিসাবে। এর উৎপত্তি ভূমধ্যসাগরীয় উপত্যকায়, খ্রিষ্টীয় প্রথম শতকে। পরবর্তীতে এটি পৃথক বিশ্বাস এবং ধর্মাচরণযুক্ত আলাদা ধর্ম হিসাবে বিস্তৃত হয়। খ্রিস্টধর্মের কেন্দ্রীয় চরিত্রের নাম যিশু (ঈসা)- প্রায় সকল মতেই তাঁকে ঐশ্বরিক বলে মনে করা হয়। খ্রিস্টীয় ত্রিত্ববাদ মতানুযায়ী যিশু ঐশ্বরিক তিন চরিত্রের একজন। খ্রিস্টীয় বাইবেল খ্রিস্টধর্মের প্রধান ধর্মগ্রন্থ হিসাবে বিবেচিত; তবে এক্ষেত্রে ঐতিহ্যগত কিছু মতপার্থক্য পরিলক্ষিত হয়, যেমনঃ- রোমান ক্যাথলিক মত এবং পূর্বস্থিত অর্থোডক্স মত।",
"পঞ্চরাত্র\nগৌড়ীয় বৈষ্ণবধর্মের ছয়টি দার্শনিক সনদ বা ষট্সন্দর্ভের অন্যতম \"পরমাত্মা সন্দর্ভ\" গ্রন্থে [[জীব গোস্বামী বলেছেন, \"রাজসিক ও তামসিক গুণান্বিত অশুদ্ধ ধর্মগ্রন্থগুলি শুধু বিপদ ডেকে আনছে এবং মূল [[বেদ]] অনুসরণ করা কঠিন দেখে এই দুইয়ের বিষয়ে অসন্তুষ্ট হয়ে সর্বজ্ঞ শাস্ত্রকাররা পঞ্চরাত্রের শ্রেষ্ঠত্ব সম্পর্কে দৃঢ় নিশ্চয় হন। এগুলিতে পবিত্র সর্বোচ্চ সত্য [[নারায়ণ]] ও তাঁর পূজার বর্ণনা রয়েছে। এই পূজা অত্যন্ত সহজ।\" একই সন্দর্ভে জীব গোস্বামী বলেছেন যে, [[স্বয়ং ভগবান]] কৃষ্ণ \"নারদ পঞ্চরাত্র\" বর্ণনা করেছেন। এই কারণে গৌড়ীয় পণ্ডিতরা এটিকে 'প্রমাণ' (সমালোচনামূলক প্রমাণ) হিসেবে ধরে নেন।",
"কালিকা পুরাণ\nকালিকা পুরাণ (, ) (খ্রিস্টীয় দশম শতাব্দী) একটি হিন্দু ধর্মগ্রন্থ। অষ্টাদশ উপপুরাণের অন্যতম। প্রাপ্ত পাঠটিতে ৯৮টি অধ্যায় ও ৯০০০ শ্লোক রয়েছে। এটি কালী ও তাঁর কয়েকটি বিশেষ রূপের (যথা, গিরিজা, ভদ্রকালী ও মহামায়া) উদ্দেশ্যে রচিত একমাত্র গ্রন্থ। এই পুরাণে কামরূপ তীর্থের পর্বত ও নদনদী এবং কামাখ্যা মন্দিরের বিস্তারিত বর্ণনা পাওয়া যায়। কালী, কামাখ্যা ও দুর্গা সহ বিভিন্ন দেবীর পূজাপদ্ধতি এই পুরাণে লিপিবদ্ধ আছে। সেই কারণে এটি হিন্দুধর্মের শাক্ত শাখার ধর্মগ্রন্থ। সম্ভবত এই গ্রন্থ কামরূপ (বর্তমান অসম) বা বঙ্গদেশে লিখিত হয়েছিল। এই পুরাণ একটি গুরুত্বপূর্ণ শাস্ত্রগ্রন্থ। কারণ, অপেক্ষাকৃত আধুনিক কালের \"নিবন্ধ\" (স্মার্ত) লেখকগোষ্ঠী এটিকে শাক্তধর্মের একটি প্রধান ধর্মগ্রন্থ বলে উল্লেখ করেছেন। এই পুরাণে বেশ কিছু পূর্বপ্রচলিত পৌরাণিক উপাখ্যানেরও উল্লেখ রয়েছে। এই পুরাণ সেই সব বিরল হিন্দু ধর্মগ্রন্থের একটি যেখানে \"হিন্দু\" শব্দটি পাওয়া যায়।",
"বঙ্গাব্দ\n৫৫০ খ্রিস্টাব্দের দিকে বরাহমিহির \"পঞ্চসিদ্ধান্তিকা\" নামক একটি গ্রন্থ রচনা করেছিলেন। গ্রন্থটি পাঁচটি খণ্ডে সমাপ্ত। এই গ্রন্থটিকে জ্যোতির্বিজ্ঞান এবং জ্যোতিষশাস্ত্রের সংক্ষিপ্তসার বলে অভিহিত করা হয়। পঞ্চসিদ্ধান্তিকার পাঁচটি খণ্ডের নাম– এই সিদ্ধান্তগুলো হল– সূর্যসিদ্ধান্ত, বশিষ্ঠসিদ্ধান্ত, পৌলিশ সিদ্ধান্ত, রোমক সিদ্ধান্ত ও ব্রহ্ম সিদ্ধান্ত। প্রাচীন দিন, মাস, বৎসর গণনার ক্ষেত্রে 'সূর্যসিদ্ধান্ত' একটি বিশেষ স্থান অধিকার করে আছে। বরাহমিহিরের পরে ব্রহ্মগুপ্ত নামক অপর একজন জ্যোতির্বিজ্ঞানী (জন্ম ৫৯৮) একটি সিদ্ধান্ত রচনা করেছিলেন। এই গ্রন্থটির নাম ব্রহ্মস্ফুট সিদ্ধান্ত।"
] | 36 |
ভারতীয় পদার্থবিজ্ঞানী দেবেন্দ্র মোহন বসু কোন কলেজ থেকে পদার্থবিজ্ঞান নিয়ে পাশ করেন ? | [
"দেবেন্দ্র মোহন বসু\nবাংলাদেশের কিশোরগঞ্জ জেলার ইটনা থানার জয়সিদ্ধি গ্রামে ১৮৮৫ খ্রিস্টাব্দে বিজ্ঞানী দেবেন্দ্র মোহন বসু জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম মোহিনী মোহন বসু। রেংলার আনন্দ মোহন বসু তার সহোদর কাকা। বাল্যকালে পিতৃবিয়োগ ঘটলে মাতুল বিজ্ঞানী আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসুর সান্নিধ্যে ভারতে বসবাস করেন। শৈশবে দেবেন্দ্রমোহনের আনুষ্ঠানিক শিক্ষা শুরু হয়েছিল একটি ব্রাহ্ম বালিকা বিদ্যালয়ে। বালিকা বিদ্যালয় হলেও এতে প্রাথমিক স্তর পর্যন্ত পর্যন্ত সহশিক্ষা চালু ছিল। এরপর তিনি আনন্দমোহন বসু প্রতিষ্ঠিত সিটি স্কুলে লেখাপড়া করেন এবং এ স্কুল থেকেই এন্ট্রান্স পাশ করেছেন। ১৯০১ খ্রিস্টাব্দে তাঁর পিতার মৃত্যু হয়। এসময় তিনি অভিভাবক হিসেবে পেলেন বৈজ্ঞানিক জগদীশচন্দ্র বসুকে। এন্ট্রান্স পাশ ক'রে দেবেন্দ্রমোহন প্রেসিডেন্সি কলেজে ভর্তি হয়েছিলেন। কিন্তু পিতার মৃত্যুর পর দ্রুত জীবিকা অর্জ্জনের তাগিদে ভর্তি হলেন শিবপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে, প্রকৌশলী হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে। এ সময় তিনি ছাত্রবাসে অবস্থান করতেন। কিছুদিন পর ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে তাঁকে বাড়ী ফরেঁ আসতে হয় ; আর তার শিবপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ফিরে যাওয়া হয় নি। এসময় কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর পরামর্শ দিলেন মামা জগদীশচন্দ্রের মত পদার্থবিজ্ঞান পড়তে। দেবেন্দ্রমোহন পুনরায় প্রেসিডেন্সি কলেজে ভর্তি হলেন পদার্থবিদ্যা আর ভূতত্ত্ব নিয়ে। যথাসময়ে প্রথম শ্রেণী সহ বিএসসি পাস করলেন। ১৯০৬ খ্রিস্টাব্দে এমএসসি পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণীতে প্রথম হলেন;- জগদীশচন্দ্র বসু তখন বায়োফিজিক্স ও প্ল্যান্ট ফিজিওলজি নিয়ে গবেষণা করছেন। দেবেন্দ্রমোহন যোগ দিলেন জগদীশচন্দ্রের রিসার্চ গ্রুপে শিক্ষানবিশ গবেষক হিসেবে [3]। ১৯০৭ খ্রিস্টাব্দে দেবেন্দ্রমোহন ইংল্যান্ডে গিয়ে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রাইস্ট কলেজে ভর্তি হলেন। এখানে তিনি ক্যাভেনডিশ ল্যাবে স্যার জে জে থমসন ও চার্লস উইলসনের সাথে কাজ করার সুযোগ লাভ করলেন। ১৯০৮ থেকে ১৯১১ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত ক্যাভেন্ডিশ ল্যাবে কাজ করেছেন দেবেন্দ্রমোহন। ১৯১০ খ্রিস্টাব্দে দেবেন্দ্রমোহন লন্ডনের রয়েল কলেজ অব সায়েন্সে ভর্তি হলেন। ১৯১২ খ্রিস্টাব্দে এখান থেকেই ডিপ্লোমা ও প্রথম শ্রেণীর অনার্স সহ বিএসসি ডিগ্রি লাভ করেন।"
] | [
"দেবেন্দ্র মোহন বসু\nদেবেন্দ্র মোহন বসু (জন্ম:২৬ নভেম্বর,১৮৮৫ - মৃত্যু:২ জুন ১৯৭৫) একজন ভারতীয় পদার্থবিজ্ঞানী। মহাজাগতিক রশ্মি, পারমাণবিক ও নিউক্লিয়ার পদার্থবিদ্যার গবেষণায় তার অবদান অসীম। তিনিই প্রথম ফটোগ্রাফিক ইমালশন পদ্ধতিতে ‘মেসন’ এর ভর নির্ণয় করেছিলেন। তাঁর পদ্ধতি অনুরসণ করে মেসনের ভর নির্ণয়ের জন্য ১৯৫০ সালে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন ব্রিটিশ বিজ্ঞানী সিসিল পাওয়েল (Cecil Frank Powell)। বিখ্যাত বিজ্ঞানী স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু তাঁর আপন মামা।",
"দেবেন্দ্র মোহন বসু\n১৯১৩ খ্রিস্টাব্দে কলকাতায় ফিরে এলেন দেবেন্দ্রমোহন। দেবেন্দ্রমোহন পদার্থবিজ্ঞানের প্রভাষক হিসেবে যোগ দিলেন সিটি কলেজে। ১৮৭৮ খ্রিস্টাব্দে এই কলেজটি স্থাপন করেছিলেন তাঁর কাকা আনন্দমোহন বসু। সিটি কলেজে বেশিদিন ছিলেন না দেবেন্দ্রমোহন। ১৯১৪ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজ্ঞান কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়। দেবেন্দ্রমোহন নব-প্রতিষ্ঠিত সায়েন্স কলেজে পদার্থবিজ্ঞানের ‘রাসবিহারী ঘোষ প্রফেসর’ পদে যোগ দেন। বিজ্ঞান কলেজে যোগ দিয়েই উচ্চশিক্ষার জন্য ‘ঘোষ ভ্রমণ বৃত্তি’ পেলেন দেবেন্দ্রমোহন। ১৯১৪ খ্রিস্টাব্দে রওনা দিলেন ইউরোপ। ভর্তি হলেন বার্লিনের হামবোল্ড ইউনিভার্সিটিতে। দু’বছর পড়াশোনা ও গবেষণা করলেন প্রফেসর এরিখ রিগনারের গবেষণাগারে। রিগনার দেবেন্দ্রমোহনকে কাজ দিলেন নতুন একটা ক্লাউড চেম্বার তৈরি করে আলফা ও বিটা কণিকার গতিপথ শনাক্ত করার দেবেন্দ্রমোহন তৈরি করলেন ক্লাউড চেম্বার। হাইড্রোজেন গ্যাস দিয়ে ভর্তি করা হলো চেম্বার। এরপর চেম্বারে পাঠানো হলো আলফা-কণার স্রোত। এই আলফা-কণা হাইড্রোজেন থেকে ইলেকট্রনকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিলো। ঋণাত্বক চার্জের ইলেকট্রন হারিয়ে হাইড্রোজেন হয়ে পড়লো ধনাত্বক চার্জের প্রোটন। এই প্রোটনের গতিপথ শনাক্ত করতে সমর্থ হলেন দেবেন্দ্রমোহন। এখান ত্থেকে এরকম কণার মধ্যে সংঘর্ষের ফলে যে ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া হয় তার একটা হিসেব পাওয়া গেল। এই কাজ দিয়েই পি-এইচ-ডি থিসিস লিখে ফেললেন দেবেন্দ্রমোহন। কিন্তু ততদিনে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে ইউরোপে। যুদ্ধের কারণে থিসিস জমা দিতে পারলেন না তিনি। পাঁচ বছর তাকে জার্মানিতে থাকতে হলো। প্রোটনের গতিপথ সনাক্তকরণের ওপর দেবেন্দ্রমোহন বসুর প্রথম বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ প্রকাশিত হয় ১৯১৬ সালে – জার্মানির Physikalische Zeitschrift এ [6]। ১৯১৯ সালের মার্চ মাসে পিএইচডি সম্পন্ন করে ভারতে ফিরে আসেন দেবেন্দ্রমোহন। যোগ দিলেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর আগের পদে। ‘রাসবিহারী ঘোষ প্রফেসর’ পদে তিনি ছিলেন ১৯৩৫ সাল পর্যন্ত। ১৯৩৫ সালে সি ভি রমন ব্যাঙ্গালোরের ইনস্টিটিউট অব সায়েন্সের পরিচালক পদে যোগ দিলে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘পালিত প্রফেসর’র পদ খালি হয়। দেবেন্দ্রমোহন ‘ঘোষ প্রফেসর’ পদ ছেড়ে ‘পালিত প্রফেসর’ পদে যোগ দিলেন। তিন বছর ছিলেন তিনি এই পদে।",
"সত্যেন্দ্রনাথ বসু\nসত্যেন্দ্রনাথ বসু (১ জানুয়ারি ১৮৯৪ – ৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৪) ছিলেন একজন ভারতীয় বাঙালি পদার্থবিজ্ঞানী। তাঁর গবেষণার ক্ষেত্র ছিল গাণিতিক পদার্থবিদ্যা। সত্যেন্দ্রনাথ বসু আলবার্ট আইনস্টাইনের সঙ্গে যৌথভাবে বোস-আইনস্টাইন পরিসংখ্যান প্রদান করেন, যা পদার্থবিজ্ঞানের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার বলে বিবেচিত হয়। ছাত্রজীবনে অত্যন্ত মেধাবী সত্যেন্দ্রনাথ কর্মজীবনে সংযুক্ত ছিলেন বৃহত্তর বাংলার তিন শ্রেষ্ঠ শিক্ষায়তন কলকাতা, ঢাকা ও বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে। সান্নিধ্য পেয়েছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, প্রফুল্লচন্দ্র রায়, মাদাম কুরী প্রমুখ মণীষীর। আবার অনুশীলন সমিতির সঙ্গে প্রত্যক্ষ সম্পর্ক ও স্বাধীনতা আন্দোলনের সশস্ত্র বিপ্লবীদের সঙ্গে গোপনে যোগাযোগও রাখতেন দেশব্রতী সত্যেন্দ্রনাথ। কলকাতায় জাত সত্যেন্দ্রনাথ শুধুমাত্র বাংলায় বিজ্ঞানচর্চার প্রবল সমর্থকই ছিলেন না, সারা জীবন ধরে তিনি বাংলায় বিজ্ঞানচর্চার ধারাটিকেও পুষ্ট করে গেছেন। এই প্রসঙ্গে তাঁর অমর উক্তি, “যাঁরা বলেন বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান চর্চা হয় না, তাঁরা হয় বাংলা জানেন না, নয় বিজ্ঞান বোঝেন না।” বাংলায় বিজ্ঞানচর্চার প্রসারের উদ্দেশ্যে \"বিজ্ঞান পরিচয়\" নামে একটি পত্রিকাও প্রকাশ করেন তিনি। ব্যক্তিজীবনে সত্যেন্দ্রনাথ ছিলেন নিরলস, কর্মঠ ও মানবদরদী মণীষী। বিজ্ঞানের পাশাপাশি সঙ্গীত ও সাহিত্যেও ছিল তাঁর আন্তরিক আগ্রহ ও বিশেষ প্রীতি। রবীন্দ্রনাথ তাঁকে নিজের \"বিশ্বপরিচয়\" বিজ্ঞানগ্রন্থ, অন্নদাশঙ্কর রায় তাঁর \"জাপানে ভ্রমণরচনা\" ও সুধীন্দ্রনাথ দত্ত তাঁর \"অর্কেস্ট্রা\" কাব্যগ্রন্থ উৎসর্গ করেছিলেন।",
"দেবেন্দ্র মোহন বসু\nভারতে বিজ্ঞানের প্রসারে নিরলস কাজ করে গেছেন দেবেন্দ্রমোহন। ১৯৪৩ সালে প্ল্যানিং কমিশনের সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। ১৯৪৫ সালে নিউক্লিয়ার কেমিস্ট্রি বিশেষজ্ঞ হিসেবে এটমিক এনার্জি কমিশনের সদস্য নির্বাচিত হন। সিটি কলেজের ব্যবস্থাপনার সাথেও জড়িত ছিলেন তিনি। দীর্ঘ আঠারো বছর বিশ্বভারতীর সাম্মানিক কোষাধ্যক্ষ ছিলেন দেবেন্দ্রমোহন। ২৫ বছর ‘সায়েন্স এন্ড কালচার’ ম্যাগাজিনের সম্পাদক ছিলেন তিনি। প্রেসিডেন্ট ছিলেন ইন্ডিয়ান সায়েন্স নিউজ এসোসিয়েশনের। এশিয়াটিক সোসাইটির সভাপতি ছিলেন। সমরেন্দ্রনাথ সেন ও সুব্বারাপ্পার সাথে যৌথভাবে সম্পাদনা করেছেন ভারতবর্ষের বিজ্ঞানের ইতিহাস। ‘ইন্ডিয়ান জার্নাল অব হিস্ট্রি অব সায়েন্স’ সাময়িকীর প্রধান সম্পাদক ছিলেন দেবেন্দ্রমোহন।",
"জগদীশ চন্দ্র বসু\nবাবার ইচ্ছা ও তার আগ্রহে তিনি ১৮৮০ সালে চিকিৎসাবিজ্ঞান পাঠের উদ্দেশ্যেই লন্ডনের উদ্দেশ্যে পাড়ি জমান, কিন্তু অসুস্থতার কারণে বেশিদিন এই পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারেননি। তাঁর ভগ্নীপতি আনন্দমোহন বসুর আনুকুল্যে জগদীশ চন্দ্র প্রকৃতি বিজ্ঞান সম্বন্ধে শিক্ষালাভের উদ্দেশ্যে কেমব্রিজের ক্রাইস্ট কলেজে ভর্তি হন। এখান থেকে ট্রাইপস পাশ করেন। ১৮৮৪ খ্রিষ্টাব্দে তিনি লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএসসি পাঠ সম্পন্ন করেন। কেম্ব্রিজে জন উইলিয়াম স্ট্রাট, ৩য় ব্যারন রেলি, মাইকেল ফস্টার, জেমস ডেওয়ার, ফ্রান্সিস ডারউইন, ফ্রান্সিস মেটল্যান্ড বালফুর, সিডনি ভাইনসের মতো বিখ্যাত বিজ্ঞানসাধকেরা তাঁর শিক্ষক ছিলেন।",
"জগবন্ধু বসু\nজগবন্ধু বসু ১৮৫১ খৃষ্টাব্দ পর্যন্ত ঢাকা কলেজে শিক্ষালাভ করে স্নাতকস্তরে চিকিৎসাবিদ্যা শিক্ষালাভের জন্য কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হন। প্রথম বর্ষের শেষে শব ব্যবচ্ছেদের জন্য শারীরস্থানে এবং চতুর্থ বর্ষের শেষে ধাত্রীবিদ্যায় তিনি গুডিভ পদক লাভ করেন। তিনি দ্বিতীয় বর্ষের শেষে শারীরবিদ্যা ও উদ্ভিদবিজ্ঞানে সাম্মানিক প্রশংসাপত্র লাভ করেন। তিনি দ্বিতীয় বর্ষের শেষে শারীরস্থানে, তৃতীয় বর্ষের শেষে ভেষজবিজ্ঞান ও রসায়নবিজ্ঞানে এবং চতুর্থ বর্ষের শেষে মেডিসিনে স্বর্ণপদক লাভ করেন। ১৮৫৬ খৃষ্টাব্দে চিকিৎসাবিদ্যায় স্নাতক হন এবং ১৮৬৩ খৃষ্টাব্দে তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় হতে তিনি চিকিৎসাবিদ্যায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করেন।",
"জগদীশ চন্দ্র বসু\n১৮৮৫ খ্রিষ্টাব্দে জগদীশ চন্দ্র ভারতে ফিরে আসেন। তৎকালীন ভারতের গভর্নর-জেনারেল জর্জ রবিনসন, প্রথম মার্কুইস অব রিপন অনুরোধে স্যার অ্যালফ্রেড ক্রফট বসুকে প্রেসিডেন্সি কলেজে পদার্থবিদ্যার অধ্যাপক নিযুক্ত করেন। কলেজের অধ্যক্ষ চার্লস হেনরি টনি এই নিয়োগের বিপক্ষে ছিলেন। শুধু যে তাঁকে গবেষণার জন্য কোন রকম সুবিধা দেওয়া হত না তাই নয়, তিনি ইউরোপীয় অধ্যাপকদের অর্ধেক বেতনেরও কম অর্থ লাভ করতেন। এর প্রতিবাদে বস্য বেতন নেওয়া বন্ধ করে দেন এবং তিন বছর অবৈতনিক ভাবেই অধ্যাপনা চালিয়ে যান। দীর্ঘকাল ধরে এই প্রতিবাদের ফলে তাঁর বেতন ইউরোপীয়দের সমতুল্য করা হয়। প্রেসিডেন্সি কলেজে গবেষণার কোন রকম উল্লেখযোগ্য ব্যবস্থা না থাকায় একটি ছোট ঘরে তাঁকে গবেষণার কাজ চালিয়ে যেতে হত। পদে পদে প্রতিকূলতা সত্ত্বেও তাঁর বিজ্ঞান সাধনার প্রতি আগ্রহ ভগিনী নিবেদিতাকে বিস্মিত করেছিল। কলেজে যোগ দেওয়ার এক দশকের মধ্যে তিনি বেতার গবেষণার একজন দিকপাল হিসেবে উঠে আসেন।",
"শ্রীনিবাস কৃষ্ণণ\n১৯২৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের রিডার পদের জন্য দরখাস্ত করলেন। তাঁর দরখাস্তের সাথে সুপারিশপত্র লিখে দিয়েছিলেন প্রফেসর সি ভি রামন, দেবেন্দ্র মোহন বসু, শিশিরকুমার মিত্র প্রমুখ। নভেম্বর মাসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কৃষ্ণণের ইন্টারভিউ হলো। ১৯২৮ সালের ৭ ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দিলেন কৃষ্ণণ। কৃষ্ণণ যোগ দিয়েই কাজ শুরু করলেন কৃস্টালের চৌম্বকধর্ম বিষয়ে। ডায়াম্যাগনেটিক ও প্যারাম্যাগনেটিক কৃস্টালের ভৌতধর্মের পার্থক্য নির্ণয়ের চেষ্টা করলেন কৃষ্ণণ। যেসব কৃস্টালের বিভিন্ন তলের ভৌতধর্মের মধ্যে পার্থক্য থাকে তাদের বলা হয় এন্-আইসোট্রপিক কৃস্টাল। এসব কৃস্টালের একাধিক প্রতিসরাঙ্ক থাকতে পারে। কিন্তু ঠিক কী কারণে প্রতিসরাঙ্কের তারতম্য ঘটছে তা জানা ছিল না কারো। কৃষ্ণণ কতকগুলো সহজ পরীক্ষা-পদ্ধতি বের করলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অতি সাধারণ গবেষণাগারে বসে। ১৯২৮ থেকে ১৯৩৩ – এই পাঁচ বছরে কৃস্টালের গঠন সম্পর্কিত যুগান্তকারী সব কাজ করেছেন তিনি এখানে। কৃষ্ণণের বিশটি গবেষণা-পত্র প্রকাশিত হয় এই পাঁচ বছরে।",
"আনন্দমোহন বসু\nআনন্দমোহন বসু বৃহত্তর ময়মনসিংহের কিশোরগঞ্জ জেলার জয়সিদ্ধি গ্রামের এক ভূস্বামী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার প্রাথমিক পড়াশোনা শুরু হয় ময়মনসিংহেই। ময়মনসিংহ জিলা স্কুল থেকে মেধা তালিকায় ৯ম স্থান অধিকার করে এনট্রান্স পরীক্ষা পাশ করেন। এফএ এবং বিএ পরীক্ষা দেন প্রেসিডেন্সী কলেজ থেকে। উভয় পরীক্ষায়ই শীর্ষস্থান অধিকার করেন। ১৮৭০ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক প্রদত্ত প্রেমচাঁদ রায়চাঁদ বৃত্তি লাভ করেন। বৃত্তি নিয়ে উচ্চ শিক্ষা অর্জনের লক্ষ্যে ইংল্যান্ড যান। সেখানে কেমব্রিজের ক্রাইস্ট কলেজ থেকে উচ্চতর গণিত বিষয়ে পড়াশোনা করেন। অনার্সসহ ডিগ্রী পরীক্ষা তথা ট্রাইপস পরীক্ষা প্রথম শ্রেণী লাভ করে প্রথম ভারতীয় র্যাংলার হবার সৌভাগ্য অর্জন করেন। ১৮৭৪ সাল থেকে তিনি আইন ব্যবসা শুরু করেছিলেন।"
] | 7 |
কতসালে প্রথম কলিকাতা পৌরসংস্থা গড়ে ওঠে ? | [
"কলকাতা পৌরসংস্থা\nভারতীয় জাতীয়তাবাদী নেতা সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে ১৯২২ সালে গণতান্ত্রিক সায়ত্ত্বশাসন সংস্থা হিসেবে কলকাতা পৌরসংস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৪৭ সালে ভারত স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৫১ ও ১৯৫৬ সালে দুই বার কর্পোরেশন আইন সংশোধন করা হয়েছিল। বর্তমান পৌরসংস্থাটি ১৯৮০ সালের সংশোধিত পৌর আইনের ভিত্তিতে পরিচালিত হয়। শোভন চট্টোপাধ্যায় কলকাতা পৌরসংস্থার বর্তমান মহানাগরিক।",
"কলকাতা পৌরসংস্থা\nকলকাতায় ইংরেজ বসতি স্থাপিত হয় ১৬৯০ সালে। এরপর থেকেই এই অঞ্চলে দ্রুত নগরায়ণ শুরু হয়। তবে প্রথমদিকে কলকাতায় কোনও পৌর প্রশাসনিক ব্যবস্থা গড়ে ওঠেনি। বিচারকাজ সম্পাদনের উদ্দেশ্যে ১৭২৬ সালে প্রথম রাজকীয় সনদবলে একটি ‘মেয়রস কোর্ট’ বা মেয়রের আদালত চালু হয়। এই সংস্থা কিছু পৌর পরিষেবার দায়িত্বও গ্রহণ করেছিল। ১২ অগস্ট ১৭৬৫ তারিখে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বাংলার দেওয়ানি লাভ করলে, কিছু পৌর প্রশাসনিক সংস্কার সাধনের ক্ষমতাও লাভ করে। ১৭৭৩ সালে কলকাতাকে ব্রিটিশ ভারতের রাজধানী ঘোষণা করা হলে একটি শক্তিশালী পৌরসংগঠনের দাবি জোরালো হয়। সেই সময় ছোটখাট একটি পরিষেবা ব্যবস্থা ও একটি ক্ষুদ্রাকার পুলিশ ব্যবস্থা স্থাপিত হয়। ১৭৯৪ সালে পৌর প্রশাসনের দায়িত্ব কালেক্টরের হাত থেকে ‘জাস্টিস অফ দ্য পিস ফর দ্য টাউন’-এর হাতে তুলে দেওয়া হয়।"
] | [
"কলকাতা\nস্বাধীনতার পর ১৯৫১ ও ১৯৫৬ সালে কর্পোরেশন আইন সংশোধন করা হয়। ১৯৮০ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকার শেষবার এই আইন সংশোধন করেন। সংশোধিত নতুন আইন কার্যকর হয় ১৯৮৪ সালে। ১৯৯২ সালে ভারতীয় সংবিধানের ৭৪তম সংশোধনী বিল পাস হলে কলকাতা পৌরসংস্থা সামাজিক ন্যায় ও আর্থিক উন্নয়নের স্বার্থে পরিকল্পনা গ্রহণের ক্ষমতা পায়। ২০০১ সালে কলকাতার ইংরেজি নাম ‘ক্যালকাটা’ বদলে ‘কলকাতা’ করা হলে ‘কলিকাতা পৌরসংস্থা’ নামের পরিবর্তে ‘কলকাতা পৌরসংস্থা’ নামটি চালু হয়।",
"আন্তর্জাতিক কলকাতা পুস্তকমেলা\n১৯৭৬ সালের ৫ মার্চ প্রথম কলিকাতা পুস্তকমেলা আয়োজিত হল। মেলা চলেছিল ১৪ মার্চ অবধি। সেন্ট পলস ক্যাথিড্রাল-বিড়লা তারামণ্ডলের উলটো দিকের মাঠে (বর্তমানে মোহরকুঞ্জ উদ্যান) এই মেলা আয়োজিত হয়েছিল। কলকাতার ডিসি হেডকোয়ার্টার্স অর্চিষ্মান ঘটক মাঠের ভাড়া মকুব করে দেন। প্রবেশদ্বারের নকশা অঙ্কণ করেছিলেন বিশিষ্ট শিল্পী শুভাপ্রসন্ন। মেলা উদ্বোধন করেন পশ্চিমবঙ্গের তদনীন্তন রাজ্যপাল এ. এল. ডায়াস। প্রথম মেলার সভাপতি ছিলেন জিজ্ঞাসা প্রকাশনের কর্ণধার শ্রীশকুমার কুণ্ডা। গিল্ডের প্রতিষ্ঠাতা-সভাপতি সুশীল মুখোপাধ্যায়, সুপ্রিয় সরকার, প্রবীর দাশগুপ্ত, বিমল ধর প্রমুখ বিশিষ্ট প্রকাশকেরা মেলার আয়োজনে প্রধান ভূমিকা পালন করেন। প্রথম বইমেলায় কলকাতার সব প্রকাশক সংস্থা যোগ দেননি। তাঁদের অনেকেই মেলার সাফল্য নিয়ে সন্দিহান ছিলেন। তাই মেলার মাঠ ছোটো হলেও তা ভরতি হওয়ার মতো স্টল পাওয়া যায়নি। তখন এনবিটি একটি বিরাট অংশ জুড়ে বইয়ের প্রদর্শনী করে এবং রূপা অ্যান্ড কোম্পানি একটি বিরাট প্যাভিলিয়ন দেয়। কিন্তু এই বইমেলায় যথেষ্ট জনসমাগম হওয়ায় পরের বছর থেকে বইমেলায় অংশগ্রহণকারী প্রকাশকের সংখ্যা বাড়তে থাকে। ফলে বইমেলার আয়তনও বৃদ্ধি পায়। অন্যদিকে এই বইমেলা আয়োজনের সুবাদে সেই বছর নয়াদিল্লিতে বিশ্ব বইমেলায় অংশগ্রহণ করার সুযোগ পায় গিল্ড এবং জিতে নেয় মাঝারি স্টলের শ্রেষ্ঠ পুরস্কারটি। সুপ্রিয় সরকার তাঁর ‘প্রকাশকের ডায়েরি’ গ্রন্থে মন্তব্য করেছিলেন, “এই মেলায় সবকিছুই আলাদা, বিদেশি মেলার সঙ্গে এর কোনো মিল নেই শুধু আইডিয়াটি ছাড়া।”",
"কলকাতার মহানাগরিক\n১৯২৩ সালে রাষ্ট্রগুরু সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যে ক্যালকাটা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন আইন পাস হয়। এই আইনবলে কলকাতার পৌরপ্রশাসনের গণতন্ত্রীকরণ এবং পৌরসংস্থার উপর সরকারি নিয়ন্ত্রণের পরিমাণ হ্রাস করা হয়। ১৯২৪ সালে চিত্তরঞ্জন দাশ কলকাতা পৌরসংস্থার প্রথম মেয়র নির্বাচিত হন। ১৯২৪ সাল থেকে ১৯৪৮ সাল পর্যন্ত মোট চব্বিশ জন কলকাতার মেয়র হয়েছিলেন। ১৯২৩ সালের আইন অনুযায়ী কলকাতার সর্বশেষ মেয়র ছিলেন সুধীরচন্দ্র রায়চৌধুরী। ১৯৪৮ সালের মার্চ থেকে ১৯৫২ সালের ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত কলকাতার মেয়র পদটির কোনো অস্তিত্বই ছিল না। ১৯৫১ সালে নতুন করে কলকাতা পৌরসংস্থা আইন পাস হলে ১৯৫২ সালে নির্মলচন্দ্র চন্দ্র উক্ত আইন অনুযাইয়ী প্রথম মহানাগরিক নির্বাচিত হন। ১৯৫২ সাল থেকে ১৯৭২ সাল পর্যন্ত মোট বারো জন কলকাতার মহানাগরিক পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন; এঁদের মধ্যে আটজনই এক বছরের জন্য মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন। এই আইন মোতাবেক কলকাতার শেষ মহানাগরিক হলেন শ্যামসুন্দর গুপ্ত। ১৯৭২ সালের ২২ মার্চ থেকে ১৯৮৫ সালের অগস্ট পর্যন্ত পুনরায় কলকাতার মহানাগরিকের পদটি অকার্যকর করে রাখা হয়। কলকাতা পৌরসংস্থা আইন, ১৯৮০ কার্যকর হয় ১৯৮৪ সালের ৪ জানুয়ারি। এই আইন অনুযায়ী, কলকাতার মহানাগরিক পদের মেয়াদ এক বছর থেকে বাড়িয়ে পাঁচ বছর করা হয়। এই আইন অনুযায়ী কলকাতার প্রথম মহানাগরিক হন কমল কুমার বসু। ১৯৮৫ সালে বর্তমান কাল পর্যন্ত কলকাতায় মোট চার জন মেয়র পদে অধিষ্ঠিত হয়েছেন।",
"স্বামী প্রণবানন্দ\n১৯১৭ খ্রিষ্টাব্দে তিনি একটি আশ্রম স্থাপন করেন। ১৯১৯ খ্রিষ্টাব্দে প্রচন্ড ঝড়ের ফলে বহু লোক মারা গেলে তিনি সেবার কাজে এগিয়ে আসেন। সেবাকার্য শেষে মাদারিপুরের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের অনুরোধে \"মাদারিপুর সেবাশ্রম\" স্থাপিত করেন। এর কিছুবছরের মধ্যে খুলনা, নওগাঁ, আশাশুনি প্রভৃতি জায়গাতে সেবাশ্রম স্থাপিত হয়।\n১৯২২ খ্রিষ্টাব্দে কলিকাতার বাগবাজারে ডিস্পেনসারী লেনে ঘর ভাড়া করে কলকাতায় প্রথম আশ্রম স্থাপন করা হয়। ঐ বৎসরেই ভাদ্র মাসে ১১৮নং শোভাবাজার ষ্ট্রীটে ১৮ টাকা ভাড়ায় দুইখানি কোঠা ঘর ভাড়া লইয়া সেখানে কলিকাতা আশ্রম স্থানান্তরিত করা হয়। ১৯২৪ খ্রীঃ জুন মাসে ২৭নং বহুবাজার ষ্ট্রীটে আশ্রম উঠিয়া আসে। ইং ১৯২৬ খ্রীঃ ১৬২ কর্ণওয়ালিশ স্ট্রীটে আশ্রম স্থানান্তরিত হয়। ইং ১৯২৭ খ্রীঃ জুলাই মাসে ২৪/৩, মীর্জ্জাপুর স্ট্রীটে (বতর্মানে সূর্য্যসেন স্ট্রীট) আশ্রম উঠিয়া আসে। পরে বালিগঞ্জে ডিহি শ্রীরামপুর লেনে কয়েক মাস থাকার পর ইং ১৯৩২ খ্রীঃ মে মাসে সঙ্ঘের প্রধান কার্য্যালয় ২১১, রাজবিহারী এভিনিউ, বালিগঞ্জে নিজস্ব জমি ও বাড়ীতে স্থাপিত হয়।",
"ক্যালকাটা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কর্পোরেশন\n১৮৯৭ সালের ৭ জানুয়ারি কিলবার্ন অ্যান্ড কোং ইন্ডিয়ান ইলেকট্রিক কোম্পানি লিমিটেডের এজেন্ট হিসেবে কলকাতায় বিদ্যুৎ সরবরাহের লাইসেন্স অর্জন করে। এরপরই কোম্পানি নাম পরিবর্তন করে হয় \"ক্যালকাটা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কর্পোরেশন লিমিটেড\"। ১৮৯৯ সালের ১৭ এপ্রিল প্রিন্সেপ ঘাটের কাছে কলকাতার প্রথম পাওয়ার জেনারেটিং স্টেশনটি স্থাপিত হয়। ১৯০২ সালে ক্যালকাটা ট্রামওয়েজ কোম্পানি ঘোড়ায় টানা ট্রামের বদলে ইলেকট্রিক ট্রাম চালু করে। ১৯০৬ সালে আরও তিনটি পাওয়ার জেনারেটিং স্টেশন স্থাপিত হয়। ১৯৩৩ সালে ধর্মতলা অঞ্চলের ভিক্টোরিয়া হাউসে কোম্পানির কার্যালয় স্থানান্তরিত হয়। বর্তমানে এটিই কোম্পানির স্থায়ী ঠিকানা। ১৯৭৮ সালে কোম্পানি পুনরায় নাম পরিবর্তন করে হয় \"ক্যালকাটা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কর্পোরেশন (ইন্ডিয়া) লিমিটেড\"। ১৯৭০ এবং ১৯৮০-এর দশক থেকে কলকাতায় নিয়মিত পাওয়ার কাট বা লোডশেডিং শুরু হয়। আরপিজি গোষ্ঠী এই কোম্পানির সঙ্গে যুক্ত হলে ১৯৮৯ সালে কোম্পানির নতুন নামকরণ হয় \"সিইএসসি লিমিটেড\"।",
"কুদানকুলাম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র\nকেকেএনএপিপি ২২শে অক্টোবর ২০১৩ সালে রাত ২:৪৫ ঘটিকায় বিদ্যুৎ গ্রিডে প্রথম সংযুক্ত বা সিঙ্ক্রোনাইজ করা হয়েছিল। প্রথম পারমাণবিক চুল্লির বিদ্যুৎ উৎপাদন ওই একই দিনে শুরু হয়েছিল। প্রথম ইউনিট এপ্রিল ২০১৪ সালে ৭৩% ক্ষমতার (৬৮০ মেগাওয়াট) সঙ্গে সক্রিয় ছিল। প্রথম ইউনিট ৭ই জুন ২০১৪ সালে ১:২০ ঘটিকায় ১০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের উৎপাদনের সঙ্গে চুল্লীটি সর্বোচ্চ ক্ষমতা অর্জন করে এবং ৩১ ডিসেম্বর ২০১৪ সাল থেকে বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করে। এপ্রিল ২০১৫ সাল পর্যন্ত, কেকেএনপিপি - ইউনিট ১এ উৎপাদিত হয়েছে ২,৭৮৩ জিডব্লিউ.এইচ বিদ্যুৎ ৯৭% ক্ষমতার সঙ্গে।",
"আলিপুর পশুশালা\n১৮৭৬ সালের ১ জানুয়ারি প্রিন্স অফ ওয়েলস সপ্তম এডওয়ার্ড আনুষ্ঠানিকভাবে চিড়িয়াখানাটির উদ্বোধন করেন কলকাতার অভিজাত শহরতলি আলিপুর অঞ্চলে। প্রথমদিকে চিড়িয়াখানা গঠিত হয়েছিল ভারতীয় রেলওয়ে স্টেশনে বৈদ্যুতিককরণের দায়িত্বপ্রাপ্ত জার্মান ইলেকট্রিশিয়ান কার্ল লুইস সোয়েন্ডলারের ব্যক্তিগত পশু উদ্যানের পশুপাখি নিয়ে। সাধারণ জনসাধারণের থেকে প্রাপ্ত উপহারও গৃহীত হয়। চিড়িয়াখানায় প্রথম দিকে যে পশুপাখিগুলি ছিল সেগুলি হল: আফ্রিকান বাফেলো, জ্যাঞ্জিবার ভেড়া, গৃহপালিত ভেড়া, চার-শৃঙ্গবিশিষ্ট ভেড়া, সংকর কাশ্মীরি ছাগল, ইন্ডিয়ান আন্টেলোপ, ইন্ডিয়ান গেজেল, সম্বর হরিণ, চিত্রা হরিণ ও প্যারা হরিণ।",
"কলকাতা পৌরসংস্থা\n‘কর্পোরেশন অব ক্যালকাটা’-র প্রথম প্রতীক জনসমক্ষে আসে ১৮৯৬ সালে। এই প্রতীকে দেখা যায় সাপ ঠোঁটে দুই পাখি কাঁধে রাজমুকুট বহন করছে। স্বাধীনতার পর ১৯৬১ সালে এই ব্রিটিশ প্রবর্তিত প্রতীকটি পরিবর্তিত করে ফেলা হয়। এই সময়ই প্রতিষ্ঠিত নতুন ‘ক্যালকাটা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন’।",
"কলিকাতা (গ্রাম)\nময়দানের উত্তরে এসপ্ল্যানেডের দক্ষিণে শহরের সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ভবন ও বেশ কিছু বিলাসবহুল ব্যক্তিগত বাড়ি গড়ে ওঠে। মিসেস ফে লিখেছেন, “এসপ্ল্যানেডকে মনে হয় প্রাসাদে নির্মিত।” শহরের শ্বেতাঙ্গ জনসমাজ এরপর চৌরঙ্গীর দিকে সরে আসে। চৌরঙ্গী সেই সময় ছিল একটি ছোটো গ্রাম। বৈঠকখানা, ধর্মতলা, জানবাজারে দেশীয়রা এবং পর্তুগিজ, আর্মেনিয়ান প্রভৃতিরা এসে বসবাস শুরু করেন। এই অঞ্চলটি হোয়াইট ও ব্ল্যাক টাউনের মধ্যে সংযোগস্থল হয়ে ওঠে।"
] | 83 |
জে কে রাউলিং রচিত হ্যারি পটার উপন্যাসের প্রকাশক কে ? | [
"হ্যারি পটার\nএই বইয়ের সাফল্য রাউলিংকে ইতিহাসে সবচেয়ে বেশী উপার্জন করা লেখকের তালিকায় শীর্ষস্থান দিয়েছে। বইগুলোর ইংরেজি সংস্করণণ প্রকাশ করে ব্লুমসবারি যুক্তরাজ্যে, স্কলাস্টিক প্রেস যুক্তরাষ্ট্রে, অ্যালেন ও আনউইন অস্ট্রেলিয়ায় ও রেইনকোস্ট বুকস কানাডায়।",
"জে কে রাউলিং\nহ্যারি পটার সিরিজের ১ম গল্পটি লেখা শেষ করার পর বইটি প্রকাশ করার জন্য প্রকাশকদের কাছে অনেক ঘুরতে হয়েছিল রাউলিংকে। প্রকাশকদের ধারণা ছিল বইটি তাঁদের ব্যবসায়িকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন করবে। আটজন প্রকাশক ফিরিয়ে দেওয়ার পর ব্লুমসবারি নামের একটি প্রকাশনী ১৯৯৭ সালের ২৬ জুন হ্যারি পটার সিরিজের প্রথম বই 'হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য ফিলোসফার্স স্টোন' প্রকাশ করে। এরপরের ইতিহাস সকলেরই জানা। একেবারে অচেনা-অজানা জে.কে. রাউলিং হয়ে যান বিশ্ববিখ্যাত। যে রাউলিংকে এর আগে তার পরিবার ও পরিচিত জনরা ছাড়া অন্য কেউ চিনতো না। বিশ্বব্যাপী হ্যারি পটার সিরিজের ৩৫ কোটি কপি বিক্রি হয়েছে। তবে সবচেয়ে আশ্চর্যজনক বিষয় হলো জে.কে. রাউলিং এর লেখা হ্যারি পটার সিরিজের বই কেনার জন্য প্রকাশিত হওয়ার আগের দিন রাত থেকে মানুষ বইয়ের দোকানের সামনে লাইন দিতো।",
"হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য ডেথলি হ্যালোস\nহ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য ডেথলি হ্যালোস (ইংরেজি: Harry Potter and the Deathly Hallows) ব্রিটিশ লেখিকা জে. কে. রাউলিং রচিত \"হ্যারি পটার\" উপন্যাস সিরিজের সপ্তম ও সর্বশেষ খন্ড। বইটি ২০০৭ সালের ২১ জুলাই প্রকাশিত হয়। পূর্ববর্তী খন্ড \"হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য হাফ-ব্লাড প্রিন্স\" এর কাহিনীর ধারাবাহিকতায় এ বইটির প্রেক্ষাপট তৈরি হয়েছে। এ বইটির মাধ্যমে হ্যারি পটার সিরিজের সমাপ্তি ঘটে।\n\"হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য ডেথলি হ্যালোস\" যুক্তরাজ্যে ব্লুমসবারি পাবলিশিং, যুক্তরাষ্ট্রে স্কলাস্টিক, কানাডায় রেইনকোস্ট বুকস এবং অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে অ্যালান & আনউইন প্রকাশ করে। এটি আন্তর্জাতিকভাবে ৯৩ টি দেশে একই সাথে প্রকাশিত হয়। \"ডেথলি হ্যালোস\" বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুততম বিক্রিত বই হিসেবে রেকর্ড করে। প্রথম ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই এটির ১৫ মিলিয়ন কপি বিক্রি হয়। এই বইটি বিশ্বের বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়েছে। এর মধ্যে বাংলা, হিন্দি, ইউক্রেনীয়, পোলীয়, সুয়েডীয়, আরবি, ফরাসি, জার্মান প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।"
] | [
"হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য হাফ-ব্লাড প্রিন্স\nহ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য হাফ-ব্লাড প্রিন্স (ইংরেজিতে Harry Potter and the Half-Blood Prince) ব্রিটিশ লেখিকা জে. কে. রাউলিং রচিত হ্যারি পটার উপন্যাস সিরিজের ষষ্ঠ বই। এটি ২০০৫ সালের ১৬ জুলাই প্রকাশিত হয়। বইটিতে হ্যারি পটার হগওয়ার্টস স্কুলে তার ষষ্ঠ বর্ষে পদার্পন করে। বইটিতে লর্ড ভলডেমর্টের অতীত জীবনের বিস্তারিত বর্ণনা দেয়া হয়েছে। এ বই থেকেই হ্যারি ও অন্যান্যরা শেষ লড়াইয়ের প্রস্তুতি নেয়া শুরু করে। এছাড়া, হ্যারি ও তার বন্ধুদের বয়োঃসন্ধিকালের বিভিন্ন সমস্যা, সম্পর্কের জটিলতা ও আবেগের দ্বন্দ্ব প্রভৃতি বিষয় এই বইটির অন্যতম উপজীব্য বিষয়।",
"হ্যারি পটার\nহ্যারি পটার ( ) হচ্ছে ব্রিটিশ লেখিকা জে. কে. রাউলিং রচিত সাত খন্ডের কাল্পনিক উপন্যাসের একটি সিরিজ। এই সিরিজের উপন্যাসগুলিতে জাদুকরদের পৃথিবীর কথা বলা হয়েছে এবং কাহিনী আবর্তিত হয়েছে হ্যারি পটার নামের এক কিশোর জাদুকরকে ঘিরে, যে তার প্রিয় বন্ধু রন উইজলি ও হারমায়নি গ্রেঞ্জারকে সাথে নিয়ে নানা অ্যাডভেঞ্চারে অংশ নেয়। কাহিনীর বেশিরভাগ ঘটনা ঘটেছে হগওয়ার্টস স্কুল অব উইচক্র্যাফট এন্ড উইজার্ডরিতে। মূল চরিত্র হ্যারি পটারের বড় হওয়ার পথে যেসব ঘটনা ঘটে, তার শিক্ষাজীবন, সম্পর্ক ও অ্যাডভেঞ্চার নিয়েই কাহিনী রচিত হয়েছে। আবার বইটিতে মানুষের বন্ধুত্ব, উচ্চাশা, ইচ্ছা, গর্ব, সাহস, ভালবাসা, মৃত্যু প্রভৃতিকে জাদুর দুনিয়ার জটিল ইতিহাস, বৈচিত্র্যপূর্ণ অধিবাসী, অনন্য সংস্কৃতি ও সমাজ প্রভৃতির দৃষ্টিকোণ থেকে বর্ণনা করা হয়েছে। এর কাহিনী মূলত কালো-যাদুকর লর্ড ভলডেমর্ট, যে জাদু সাম্রাজ্যে প্রতিপত্তি লাভের উদ্দেশ্যে হ্যারির বাবা-মাকে হত্যা করেছিল ও তার চিরশত্রু হ্যারি পটারকে কেন্দ্র করেই আবর্তিত হয়েছে।",
"হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য ফিলোসফার্স স্টোন\nহ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য ফিলোসফার্স স্টোন () ব্রিটিশ লেখিকা জে. কে. রাউলিং রচিত \"হ্যারি পটার\" নামক কাল্পনিক উপন্যাস সিরিজের প্রথম উপন্যাস। এখানে হ্যারি পটার নামে একজন জাদুকরের কথা বলা হয়েছে, যে এগার বছর বয়সে সর্বপ্রথম আবিষ্কার করে যে সে একজন জাদুকর এবং হগওয়ার্টস নামের একটি জাদুবিদ্যা শিক্ষার স্কুলে ভর্তি হয়। হগওয়ার্টসে সে রন উইজলি ও হারমায়োনি গ্রেঞ্জার এর সাথে বন্ধুত্ব গড়ে তোলে এবং তাদের সহযোগিতায় কালো জাদুকর লর্ড ভলডেমর্টকে পরাজিত করে এবং পরশপাথরটিকে উদ্ধার করে। ভলডেমর্টই হ্যারির এক বছর বয়সে তার বাবা মাকে হত্যা করেছিল এবং তাকেও হত্যার চেষ্টা করেছিল।",
"হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য চেম্বার অব সিক্রেটস\nহ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য চেম্বার অফ সিক্রেটস (ইংরেজিতে Harry Potter and the Chamber of Secrets) ব্রিটিশ লেখিকা জে কে রাউলিং রচিত \"হ্যারি পটার\" উপন্যাস সিরিজের দ্বিতীয় বই। বইটি ১৯৯৮ সালের ২ জুলাই যুক্তরাজ্যে এবং ১৯৯৯ সালের ২ জুন যুক্তরাষ্ট্রে প্রকাশিত হয়।",
"হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য ডেথলি হ্যালোস (চলচ্চিত্র)\nহ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য ডেথলি হ্যালোস ২০১০-১১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত দুই পর্বের এপিক ফ্যান্টাসি চলচ্চিত্র। ছবিটি ডেভিড ইয়েটস পরিচালিত এবং জে কে রাউলিং রচিত একই নামের একটি উপন্যাস অবলম্বনে স্টিভ ক্লোভস কর্তৃক লিখিত। ছবিটি প্রযোজনা করেন রাওলিং এবং ডেভিড হেয়ম্যান ও ডেভিড ব্যারন। এটি \"হ্যারি পটার\" চলচ্চিত্র সিরিজের সপ্তম তথা শেষ পর্ব। ছবিটি দুটি পর্বে বিভক্ত। এই ছবিতে দেখা যায়, হ্যারি পটার লর্ড ভল্ডেমর্টের অমরত্বের গোপন রহস্য হরক্রাক্সগুলির অনুসন্ধান করছে। এই ছবিতে হ্যারি পটারের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন ড্যানিয়েল র্যাডক্লিফ; তার দুই বন্ধু রন উইজলি ও হারমায়োনি গ্রেঞ্জারের চরিত্রে অভিনয় করেছেন যথাক্রমে রুপার্ট গ্রিন্ট ও এমা ওয়াটসন। এছাড়াই এই ছবিতে অভিনয় করেছেন রালফ ফাইনেস, হেলেনা বনহ্যাম কার্টার ও অ্যালান রিকম্যান।",
"জে কে রাউলিং\nজোয়ানে \"জো\" রাউলিং ওবিই (জন্ম: জুলাই ৩১ ১৯৬৫) একজন সফলতম ইংরেজ কল্পকাহিনী লেখিকা যিনি জে. কে. রাউলিং ছদ্ম নামে লেখালেখি করেন। রাউলিং জনপ্রিয় কল্পকাহিনী \"হ্যারি পটার\" সিরিজের রচয়িতা, যা তাঁকে বিশ্বজুড়ে সম্মান ও জনপ্রিয়তা এনে দিয়েছে। এ সাহিত্য কর্মের জন্য তিনি একাধিক পুরস্কার জিতেছেন। সারা বিশ্বে \"হ্যারি পটার\" সিরিজের ৪০০ মিলিয়নেরও অধিক কপি বিক্রি হয়েছে।",
"জে কে রাউলিং\nজে.কে. রাউলিং এবং হ্যারি পটার সিরিজ ফিলোসফার্স স্টোন প্রকাশের পর থেকে অনেক পুরষ্কার পেয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে চারটি হুইটেকার প্লাটিনাম বুক এওয়ার্ডস (সবগুলো ২০০১ সালে), তিনটি নেসলে স্মার্টিস বুক প্রাইজ (১৯৯৭-১৯৯৯), দুটি স্কটিশ আর্টস কাউন্সিল বুক এওয়ার্ডস (১৯৯৯ ও ২০০১), উদ্বোধনী হুইটব্রেড বর্ষসেরা শিশুতোষ গ্রন্থ পুরষ্কার, (১৯৯৯), ডব্লিউ এইচ স্মিথ বর্ষসেরা বই (২০০৬)। ২০০০ সালে হ্যারি পটার এন্ড দ্য প্রজনার অব আজকাবান শ্রেষ্ঠ উপন্যাস বিভাগে হিউগো পুরষ্কারের জন্য মনীত হয় কিন্তু পায়নি। তবে ২০০১ সালে হ্যারি পটার এন্ড দ্য গবলেট অব ফায়ার বইটি উক্ত পুরষ্কার ছিনিয়ে নেয়। অন্যান্য সম্মাননার মধ্যে রয়েছে কার্নেগি মেডেলের জন্য ১৯৯৭ সালে মনোনয়ন, ১৯৯৮ সালে গার্ডিয়ান চিলড্রেন'স এওয়ার্ড পুরষ্কারের সংক্ষিপ্ত তালিকায় স্থান, বিভিন্ন স্থানে স্মরনীয় বইয়ের তালিকায় স্থান, আমেরিকান লাইব্রেরী এসোসিয়েশন, নিউ ইয়র্ক টাইমস, শিকাগো পাবলিক লাইব্রেরী ও পাবলিশার্স উইকলি প্রভৃতিতে সম্পাদকের পছন্ধ এবং প্রস্তাবিত শ্রেষ্ঠ বই তালিকায় অবস্থান।",
"হারমায়নি গ্রেঞ্জার\nহারমায়নি জিন গ্রেঞ্জার (ইংরেজিতে Hermione Jean Granger) ব্রিটিশ লেখিকা জে. কে. রাউলিং রচিত \"হ্যারি পটার\" উপন্যাস-সিরিজের এক কাল্পনিক চরিত্র। সিরিজের প্রথম উপন্যাস \"হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য ফিলোসফার্স স্টোন\" থেকে পরবর্তী প্রতিটি উপন্যাসে তার উপস্থিতি রয়েছে। সিরিজে সে হ্যারি পটার ও রন উইজলির অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বন্ধু হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। তার চরিত্রে বিচক্ষণতা ও বুদ্ধির সমন্বয় ঘটেছে। রাউলিং বলেছেন যে, তিনি হারমায়নির মধ্যে তার নিজের ছোটবেলার চরিত্রকে প্রকাশ করেছেন।"
] | 39 |
মুহাম্মদ আতাউল গণি ওসমানী কোন সালে বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর প্রধান সেনাপতির পদে নিযুক্ত হন ? | [
"মহম্মদ আতাউল গণি ওসমানী\nমুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে ওসমানী সীমান্ত পার হয়ে ভারতে প্রবেশ করেন। ১১ এপ্রিল (১৯৭১) প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদ স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে ভাষণ দেন৷ ঐ ভাষণে তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অবকাঠামো গঠনের কথা উল্লেখ করে এমএজি ওসমানীকে মুক্তিবাহিনীর প্রধান সেনাপতি হিসেবে ঘোষণা দেন৷ উল্লেখ্য যে ১০ এপ্রিল স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র জারী ও সরকার গঠন করা হয় এবং পরবর্তীকালে ১৭ এপ্রিল মুজিবনগরে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার শপথ গ্রহণ করে। ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল গঠিত হয় মুজিবনগর সরকার, ওসমানীকে করা হয় মুক্তিবাহিনীর প্রধান সেনাপতি।"
] | [
"মহম্মদ আতাউল গণি ওসমানী\n১৯৭১ সালের ২৬শে ডিসেম্বর তাঁকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর জেনারেল পদমর্যাদা (অক্রিয়) প্রদান করা হয় এবং তিনি নব দেশের প্রথম সশস্ত্র বাহিনী প্রধান হিসেবে নিযুক্তি পান। ১৯৭২ সালের ১২ এপ্রিল তিনি তার এ দায়িত্ব থেকে অবসর নেন, মন্ত্রীসভায় যোগ দেন অভ্যন্তরীণ নৌ যোগাযোগ, জাহাজ ও বিমান মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে। ১৯৭৩ সালের মার্চে স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়৷ ঐ নির্বাচনে ওসমানী তাঁর নিজের এলাকা থেকে অংশ নেন এবং নির্বাচনে অভাবনীয় সাফল্য লাভ করেন৷ ১৯৭৩ এর নির্বাচনে ওসমানী ৯৪ শতাংশ ভোটে বিজয়ী হয়েছিলেন৷ ডাক, তার, টেলিযোগাযোগ, অভ্যন্তরীণ নৌ যোগাযোগ, জাহাজ ও বিমান মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নেন। ১৯৭৪ সালের মে মাসে মন্ত্রীসভা থেকে পদত্যাগ করেন। ১৯৭৫ সালে সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে একদলীয় বাকশাল ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হলে তিনি সংসদ সদস্যপদ এবং আওয়ামী লীগের সদস্যপদ ত্যাগ করেন। সেবছর ২৯শে আগস্ট খন্দকার মোশতাক আহমেদের প্রতিরক্ষা বিষয়ক উপদেষ্টা পদে নিয়োগ পান, তবে ৩রা নভেম্বর জেলহত্যার ঘটনার পর পদত্যাগ করেন। ১৯৭৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ওসমানী 'জাতীয় জনতা পার্টি' নামে নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করেন। ১৯৭৮ ও ১৯৮১ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তিনি অংশগ্রহণ করেন।\n১৯৭৮ সালের ৩রা জুন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে জিয়াউর রহমান জয়লাভ করেন। এই নির্বাচনে মোট ১০জন প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেনঃ",
"মহম্মদ আতাউল গণি ওসমানী\nপাকিস্তানী বাহিনী ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ তারিখে মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় সামরিক বাহিনীর যৌথ কমান্ডের কাছে আত্মসমর্পণ করে। বাংলাদেশ স্বাধীন হয়। এই আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে মুক্তিবাহিনীর প্রধান সেনাপতি জেনারেল ওসমানী অনুপস্থিত ছিলেন। আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে ওসমানী উপস্থিত না থাকার কারণ ছিল আর্মি প্রটোকল।আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে ভারতের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় সেনাবাহিনীর পূর্ব ফ্রন্টের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট.জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরা। অন্যদিকে পাকিস্তানের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় সৈন্যবাহিনী প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল এএকে নিয়াজী। এরা দুজনেই ছিলেন আঞ্চলিক প্রধান।অন্যদিকে ওসমানী ছিলেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান।তাই সেনাবাহিনীর প্রটোকল রক্ষার্থে কোন সেনাবাহিনীর আঞ্চলিক প্রধানের সাথে তিনি কোন অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেন না।ওসমানি নিজেই এ বিতর্কের জবাব দিয়ে গেছেন।",
"মহম্মদ আতাউল গণি ওসমানী\nমুহাম্মদ আতাউল গণি ওসমানী, যিনি জেনারেল এম. এ. জি. ওসমানী নামে অধিক পরিচিত (১ সেপ্টেম্বর ১৯১৮ - ১৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৪), বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তিবাহিনী ও সেনাবাহিনীর প্রধান সেনাপতি ছিলেন।",
"বাংলাদেশের সামরিক ইতিহাস\nনবগঠিত বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী মুক্তিবাহিনীর কিছু সংখ্যক গেরিলাকে নিয়োগ দেয়। মুক্তি বাহিনীর সর্বাধিনায়ক জেনারেল ওসমানী বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর জেনারেল নিযুক্ত হন। বহু বছর ধরে মুক্তিবাহিনী থেকে নিয়োগপ্রাপ্ত এবং পশ্চিম পাকিস্তানের জন্য কাজ করে যাওয়া বাঙ্গালী অফিসারদের মধ্যে বৈষম্য বিরাজ করেছিলো। কিছু বিপথগামী অফিসার ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানকে খুন করে রাজনীতিবিদ খন্দকার মোশতাক আহমেদকে রাষ্ট্রপতি এবং মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমানকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সেনা প্রধান করে নতুন শাসনব্যাবস্থা প্রতিষ্ঠা করে। ৩ নভেম্বর ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফ মুজিবের হত্যাকারী সামরিক বাহিনীকে উৎখাত করেন। পরবর্তীতে তিনিও ৭ নভেম্বর কর্নেল আবু তাহেরের নেত্রিত্তে অফিসারদের একটি সমাজতান্ত্রিক দল দ্বারা উৎখাতিত হন এবং জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় আসেন। এই ঘটনাটি সিপাহী – জনতা বিপ্লব নামে পরিচিত। জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রপতি থাকাকালীন সময় সামরিক বাহিনী পুনরায় সংগঠিত হয়। তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক সংঘাত এবং ক্যাডেটদের অভিযোগের অবসান ঘটান। ১৯৮১ সালে একটি সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে জিয়াউর রহমান উৎখাতিত হন এবং পরের বছর ল্যাফটেনেন্ট জেনারেল হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট আব্দুস সাত্তারের কাছ থেকে ক্ষমতা গ্রহণ করেন। ১৯৯১ সালে গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হওয়ার আগে পর্যন্ত জিয়াউর রহমান এবং পরবর্তীতে হুসাইন মোহাম্মদ এরশাদের শাসনামলে সামরিক বাহিনী দেশের রাজনীতির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে ছিল।",
"মহম্মদ আতাউল গণি ওসমানী\nওসমানী'র নির্দেশনা অনুযায়ী সমগ্র বাংলাদেশকে ১১টি সেক্টরে ভাগ করা হয়। প্রতিটি সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার হিসেবে এক একজন সেনাবাহিনীর অফিসারকে নিয়োগ দেয়া হয়। বিভিন্ন সেক্টর ও বাহিনীর মাঝে সমন্বয়সাধন করা, রাজনৈতিক নেতৃত্বের সাথে যোগাযোগ রাখা, অস্ত্রের যোগান নিশ্চিত করা, গেরিলা বাহিনীর প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা - প্রভৃতি কাজ সাফল্যের সাথে পালন করেন ওসমানী। ১২ এপ্রিল থেকে এম. এ. জি. ওসমানী মন্ত্রীর সমমর্যাদায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান সেনাপতি হিসেবে যুদ্ধ পরিচালনার দায়িত্বভার গ্রহণ করেন৷ রণনীতির কৌশল হিসেবে প্রথমেই তিনি সমগ্র বাংলাদেশকে ভৌগোলিক অবস্থা বিবেচনা করে ১১টি সেক্টরে ভাগ করে নেন এবং বিচক্ষণতার সাথে সেক্টরগুলো নিয়ন্ত্রণ করতে থাকেন৷ পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ছিল দক্ষ এবং সংখ্যায় অনেক বেশি৷ এই বিবেচনায় ওসমানীর রণকৌশল ছিল প্রথমে শত্রুকে নিজেদের ছাউনিতে আটকে রাখা এবং তাদেরকে যোগাযোগের সবগুলো মাধ্যম হতে বিছিন্ন করে রাখা৷ এজন্য এম. এ. জি. ওসমানী মে মাস পর্যন্ত নিয়মিত পদ্ধতিতে যুদ্ধ পরিচালনা করেন৷ মে মাসের পর তাঁর মনে হয় প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কমসংখ্যক সৈন্য নিয়ে শত্রুকে ছাউনিতে আটকে রাখা গেলেও ধ্বংস করা সম্ভব নয়৷ এ বিষয়টি তিনি সরকারকে জানিয়ে যুদ্ধে কৌশলগত পরিবর্তন আনেন৷ প্রাক্তন ইপিআর এর বাঙালি সদস্য, আনসার, মোজাহেদ, পুলিশ বাহিনী ও যুবকদের নিয়ে একটি গণবাহিনী বা গেরিলাবাহিনী গঠন করেন।",
"কাজী মুহাম্মদ শফিউল্লাহ\n১৯৭০ সালে মেজর পদে পূর্ব পাকিস্তানে আসেন কে এম শফিউল্লাহ৷ ১৯৭২ সালের ৫ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমান কে এম শফিউল্লাহকে ডেকে সেনাপ্রধানের দায়িত্ব নিতে বলেন, তখন দেশের সামরিক বাহিনীর প্রধান অধিনায়কের দায়িত্বে এম এ জি ওসমানী (অক্রিয় জেনারেল) ছিলেন। শফিউল্লাহর পদবী তখন লেঃ কর্নেল ছিলো (যুদ্ধের সময় পদোন্নতিপ্রাপ্ত), তিনি সেনাপ্রধান হতে অনিচ্ছা প্রকাশ করলেও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে তাঁকে সেনাপ্রধানের দায়িত্ব নিতে হয় এবং তাকে পূর্ণ কর্নেল পদে উন্নীত করা হয়৷১৯৭৩ সালের মাঝামাঝি ব্রিগেডিয়ার এবং একই বছরের ১০ অক্টোবর তিনি মেজর-জেনারেল পদবী লাভ করেন, তার সঙ্গে জিয়াউর রহমানও পদোন্নতি পেয়ে উপসেনাপ্রধান হয়েছিলেন। ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত শফিউল্লাহ সেনাপ্রধানের দায়িত্ব পালন করেন৷ ১৯৭৬ সাল থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত ১৬ বছর তিনি বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত হিসেবে কাজ করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে মালয়েশিয়া, কানাডা, সুইডেন আর ইংল্যান্ড। ১৯৯৫ সালে আওয়ামী লীগে যোগদান করেন এবং ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে নির্বাচিত হন।",
"মহম্মদ আতাউল গণি ওসমানী\nবিশ্ববিদ্যালয় শেষ করে ওসমানী তৎকালীন সেনাবাহিনীতে যোগ দেন৷ ১৯৩৯ সালে তিনি রয়্যাল আর্মড ফোর্সে ক্যাডেট হিসেবে যোগ দেন। দেরাদুনে ব্রিটিশ - ভারতীয় মিলিটারি একাডেমীতে প্রশিক্ষণ শেষে তিনি ১৯৪০ সালে ব্রিটিশ সেনাবাহিনীতে যোগ দেন কমিশনড অফিসার হিসেবে। সেসময় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলছিলো। ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর একটি ব্যাটেলিয়ানের কমান্ডার হিসেবে তিনি বার্মা (মিয়ানমার) সেক্টরে কাজ করেন। ১৯৪২ সালে মেজর পদে উন্নীত হন। ১৯৪২ সালে ওসমানী ছিলেন ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের সর্বকনিষ্ঠ মেজর। ১৯৪৫ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হলে ওসমানী ব্রিটিশ সেনাবাহিনীতে লং কোর্স পরীক্ষা দিয়ে উচ্চস্থান লাভ করেন৷ সে বছর তিনি ইন্ডিয়ান পলিটিক্যাল সার্ভিসের জন্যও মনোনীত হন৷ কিন্তু তিনি সামরিক বাহিনীতেই থেকে যান৷ দেশবিভাগের পর ১৯৪৭ সালের ৭ই অক্টোবর ওসমানী পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। এসময় তাঁর পদমর্যাদা ছিল লেফটেন্যান্ট কর্নেলের। ১৯৪৯ সালে তিনি চীফ অফ জেনারেল স্টাফের ডেপুটি হন। ১৯৫১ সনে তিনি ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট এর ১ম ব্যাটেলিয়নের অধিনায়ক নিযুক্ত হন৷ এর পর তিনি চট্টগ্রাম সেনানিবাস প্রতিষ্ঠা করেন৷ ১৯৫৫ সাল পর্যন্ত তৎকালীন পূর্ববাংলার আরও কয়েকটি আঞ্চলিক স্টেশনের দায়িত্বও তিনি সফলতার সাথে পালন করেন৷ পরবর্তীকালে তিনি ১৪তম পাঞ্জাব রেজিমেন্ট এর ৯ম ব্যাটেলিয়ানের রাইফেলস কোম্পানির পরিচালক, ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলস (ই.পি.আর.)-এর অতিরিক্ত কমান্ড্যান্ট, সেনাবাহিনীর জেনারেল স্টাফ অফিসার প্রভৃতি দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৫৬ সালে তিনি কর্নেল পদমর্যাদা লাভ করেন এবং সেনাবাহিনীর হেডকোয়ার্টারের জেনারেল স্টাফ এন্ড মিলিটারি অপারেশনের ডেপুটি ডিরেক্টরের দায়িত্ব পান। ১৯৬৫ সালের পাক-ভারত যুদ্ধে তিনি পাকিস্তানের হয়ে যুদ্ধ করেন৷ 'ডেপুটি ডাইরেক্টর অব মিলিটারি অপারেশন' হিসেবে যুদ্ধরত বিভিন্ন সামরিক হেড কোয়ার্টারে যোগাযোগ করতেন তিনি ৷ পাক-ভারত যুদ্ধ যখন শেষ হয় তখন তাঁর বয়স চল্লিশের উপরে৷ ১৯৬৬ সালের মে মাসে তিনি পাকিস্তান সেনাবাহিনী থেকে অবসরকালীন ছুটি নেন এবং পরের বছর (১৯৬৭ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি) অবসর গ্রহণ করেন।",
"এম হামিদুল্লাহ খান\nঅতঃপর ১১ নং সেক্টর এবং জেডফোর্সের অধিনায়ক মেজর জিয়ার রহমান তাঁকে ১১ নম্বর সেক্টরে 'সাব সেক্টর কমান্ডার' নিযুক্ত করেন। ১০ই অক্টোবরে মেজর জিয়াউর রহমান নিযুক্ত মেজর তাহের ২ নভেম্বরে আহত হলে তিনি ১৯৭১-এর ৩ নভেম্বর থেকে সেক্টরের কমান্ডারের দায়িত্ব লাভ করেন। তিনি পাক সেনাদের সঙ্গে যুদ্ধে অসীম সাহসিকতার পরিচয় দেন। স্বাধীনতা যুদ্ধে প্রবাসী সরকারে বাংলাদেশ ফোর্সেস সর্বাধিনায়ক এম এ জি ওসমানী এম এ জি ওসমানী তাঁকে সাহসিকতার স্বীকৃতিস্বরূপ ফিল্ড প্রমোশন দিয়ে স্কোয়াড্রন লীডার পদে উন্নীত করে। বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে ১১ নম্বর সেক্টরের কমান্ডার ছিলেন তিনি। মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অংশগ্রহণ ও সবিশেষ অবদান রাখায় তিনি বীরপ্রতীক খেতাবে ভূষিত হন।",
"বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সেনাপ্রধান\n১৯৭২ সালের ৫ এপ্রিল কে এম শফিউল্লাহকে প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমান সেনাপ্রধান নিয়োগ করেন, এর আগে সেনাবাহিনীর পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন এম এ জি ওসমানী যিনি মূলত মুক্তিবাহিনীর প্রধান বা বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান ছিলেন। বস্তুত আব্দুর রব স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সেনাপ্রধান ছিলেন না, তাকে ১৯৭১ সালে মুক্তিবাহিনীর উপসেনাপতি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল এবং যুদ্ধ শেষে ভারপ্রাপ্ত সেনাপ্রধান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিলো যদিও এ নিয়ে মতভেদ রয়েছে ।"
] | 92 |
মুহম্মদ জাফর ইকবাল রচিত প্রথম বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীর নাম কী ? | [
"মুহম্মদ জাফর ইকবাল\nজাফর ইকবাল বিশ্ববিদ্যালয় জীবন থেকেই লেখালেখি করেন। তার প্রথম বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীমূলক গল্প \"কপোট্রনিক ভালোবাসা\" সাপ্তাহিক বিচিত্রায় প্রকাশিত হয়েছিল। গল্পটি পড়ে একজন পাঠক দাবি করেন সেটি বিদেশি গল্প থেকে চুরি করা। এর উত্তর হিসেবে তিনি একই ধরণের বেশ কয়েকটি বিচিত্রার পরপর কয়েকটি সংখ্যায় লিখে পাঠান। তার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানকালে এই গল্পগুলো নিয়ে \"কপোট্রনিক সুখ-দুঃখ\" নামে একটি বই প্রকাশিত হয়। এই বইটি পড়ে শহীদ-জননী জাহানারা ইমাম খুবই প্রশংসা করেন এবং এই ঘটনায় তিনি এ ধরণের আরও বই লিখতে উৎসাহিত হন। তার প্রথম দিকের বিজ্ঞান কল্পকাহিনীগুলো পাঠকমহলে সমাদৃত হয়। সুদূর আমেরিকাতে বসে তিনি বেশ কয়েকটি বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী রচনা করেন। দেশে ফিরে এসেও তিনি নিয়মিত বিজ্ঞান-কল্পকাহিনী লিখে যাচ্ছেন, প্রতি বইমেলাতে তার নতুন সায়েন্স ফিকশান কেনার জন্যে পাঠকেরা ভীড় জমায়।"
] | [
"বাংলা বিজ্ঞান কল্পকাহিনী\nকাজি আবদুল হালিমের মহাশূন্যের কান্না (কসমস এর কান্না) প্রথম আধুনিক পূর্ব বাংলা বিজ্ঞান কথাসাহিত্য উপন্যাস। স্বাধীনতার পর হুমায়ূন আহমেদ বাংলা সাহিত্যিক উপন্যাস, তোমাদের জন্য ভালোবাসা (প্রেমের সকলের জন্য) লিখেছেন। এটি ১৯৭৩ সালে প্রকাশিত হয়েছিল। এই বইটি প্রথম পূর্ণাঙ্গ বাংলাদেশী বিজ্ঞান কথাসাহিত্য উপন্যাস হিসেবে বিবেচিত হয়। তিনি তারা তিন জন (তারা ছিল তিন), ইরিনা, অনন্ত নক্ষত্রবীথি(অ্যান্থল গ্যালাক্সী), ফাহা সোমিকোরন (ফিহা সমীকরণ) এবং অন্যান্য কাজ লিখেছিলেন।\nবাংলাদেশে বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী লেখা ও জনপ্রিয়করণের পথিকৃৎ হিসাবে মুহম্মদ জাফর ইকবালকে গণ্য করা হয়। তার প্রথম সায়েন্স-ফিকশন গল্প কপোট্রনিক ভালোবাসা সাপ্তাহিক বিচিত্রায় প্রকাশিত হয়েছিল। তার জনপ্রিয় বইয়ের নাম হচ্ছে কপোট্রনিক সুখ দুঃখ, ওমিক্রমিক রূপান্তর, টুকুনজিল, ক্রোমিয়াম অরণ্য, বেজি, নয় নয় শূন্য তিন। এছাড়াও উল্লেখযোগ্য লেখক হচ্ছেন অনিরুদ্ধ আলম, মোশতাক আহমেদ, নিপুণ আলম, রকিব হাসান, মুহাম্মদ আনোয়ারুল হক, আলতামাশ পাশা, জাকারিয়া স্বপন প্রমুখ। মুহাম্মদ আনোয়ারুল হকের প্রিয় বিষয় হচ্ছে প্যারালাল ওয়ার্ল্ড ও বর্তমান সময়ের যুক্তিপূর্ণ বৈজ্ঞানিক রহস্য। অনিরুদ্ধ আলম রচিত উল্লেখযোগ্য সায়েন্স ফিকশনগুলো হল পিঁপড়ে (সায়েন্স ফিকশন উপন্যাস), অপারেশন ক্যালপি বত্রিশ (সায়েন্স ফিকশন উপন্যাস), এবং ক্রিনোর অপেক্ষায় (সায়েন্স ফিকশন ছোট গল্প), তেইশশত দুই সালের এক জানুয়ারি (কল্পবিজ্ঞান ছোটো গল্প) ইত্যাদি।",
"মুহম্মদ জাফর ইকবালের উপর জঙ্গী আক্রমণ\nমুহম্মদ জাফর ইকবাল (জন্ম: ২৩ ডিসেম্বর ১৯৫২) একজন বাংলাদেশী লেখক, পদার্থবিদ ও শিক্ষাবিদ। তাকে বাংলাদেশে বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী লেখা ও জনপ্রিয়করণের পথিকৃৎ হিসাবে গণ্য করা হয়। এছাড়াও তিনি একজন জনপ্রিয় শিশুসাহিত্যিক এবং কলাম-লেখক। তার লেখা বেশ কয়েকটি উপন্যাস চলচ্চিত্রে রূপায়িত হয়েছে। তিনি বর্তমানে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের একজন অধ্যাপক এবং তড়িৎ কৌশল বিভাগের প্রধান। ২০১৮ সালের ৩রা মার্চ বিকাল ৫টা ৪০ মিনিটে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে রোবটিক প্রতিযোগিতার সমাপনী অনুষ্ঠান চলাকালে তাঁর উপর হত্যার উদ্দেশ্যে একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র তাকে আক্রমণ করে।৩ মার্চ ২০১৮ রোজ শনিবার বিকাল ৫টা ৪০ মিনিটে সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবালকে ছুরিকাঘাত করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে ইলেকট্রিকাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) উৎসবের রোবটিক প্রতিযোগিতার সমাপনী অনুষ্ঠান চলছিল। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে কয়েকজন হুলুস্থুল শুরু করে। সে সময় একজন অধ্যাপকের মাথায় হামলা চালায়। হামলার পরপর জাফর ইকবালকে সিলেট এম.এ.জি. ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে তার ক্ষত স্থান পরিষ্কার করে সেখানে সেলাই দেওয়া হয়। তাঁর মাথায় চারটি আঘাত করা হয়। এগুলো রডের আঘাত বলে ধারণা করা হয়। এছাড়া তার বাঁ হাত ও পিঠে ছুরিকাঘাতের জখম রয়েছে। জাফর ইকবালের মাথায় ২৬টি সেলাই ও বাম হাতে ছয়টি এবং পিঠের বাম পাশে আরও ছয়টি সেলাই অর্থাৎ ৩৮ টি সেলাই পড়েছে।",
"টুকি ও ঝায়ের (প্রায়) দুঃসাহসিক অভিযান\nবাংলাদেশের বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীর প্রতিষ্ঠাতা মুহম্মদ জাফর ইকবালের লেখা টুকি ও ঝায়ের (প্রায়) দুঃসাহসিক অভিজান গল্পটি কল্পবৈজ্ঞানিক রম্য কাহিনী হিসেবে পরিচয় লাভ করেছে। এটি ২০০৪ সালে প্রথম প্রকাশিত হওয়ার পর এর মোট ৬ বার মুদ্রণ হয়। বইটির প্রকাশক মিলন নাথ। এর স্বত্ত ধারক লেখকের স্ত্রী ড. ইয়াসমিন হক।\nটুকি এবং ঝা দুজন চোর। যেই সেই চোর নয় চোরদের বিশেষ কলেজ থেকে পাশ করা ডিপ্লোমাধারী পেশাদার চোর। তাদের চালচলন বা চরিত্রের কোনো মিল নেই। পুলিশ সবসময়ই তাদের হন্য হয়ে খোজে কিন্তু তারা সর্বদা পুলিশ থেকে একপদ এগিয়ে থাকে। গল্পের শুরুতেই তারা ভুল করে একটা মহাকাশযানে ঢুকে পরে এবং শুরু হয় তাদের রোমাঞ্চকর মজার দুঃসাহিক অভিযান।",
"বাংলাদেশে ইসলামী সন্ত্রাসবাদীদের আক্রমণ\nমুহম্মদ জাফর ইকবাল সিলেট শাহ্জালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অধ্যাপক এবং বাংলাদেশের গুণী সাহিত্যিক। সাহিত্যাঙ্গনে তার লেখা শিশু-কিশোরদের জন্যই বেশি। এছাড়াও অসংখ্য সায়েন্স ফিকশনের রচয়িতা তিনি। ২০১৮ সালের ৩ মার্চ তাঁর বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অনুষ্ঠান চলার সময় মুহম্মদ জাফর ইকবাল এক আক্রমণে ছুরিকাহত হয়েছিলেন। অধ্যাপক জাফর ইকবালের মাথায়, কাঁধে এবং হাতে ধারালো অস্ত্রের একাধিক আঘাত লেগেছিল। ২০১৬ সালের অক্টোবর মাসে মুহম্মদ জাফর ইকবাল এবং তার স্ত্রীকে আনসারুল্লাহ বাংলা টিম নামে একটি ইসলামি জঙ্গি সংগঠনের নামে মোবাইলে ফোনে বার্তা পাঠিয়ে হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছিল।",
"মুহম্মদ জাফর ইকবাল\nমুহম্মদ জাফর ইকবাল (জন্ম: ২৩ ডিসেম্বর ১৯৫২) হলেন একজন বাংলাদেশী লেখক, পদার্থবিদ ও শিক্ষাবিদ। তাকে বাংলাদেশে বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী লেখা ও জনপ্রিয়করণের পথিকৃৎ হিসাবে গণ্য করা হয়। এছাড়াও তিনি একজন জনপ্রিয় শিশুসাহিত্যিক এবং কলাম-লেখক। তার লেখা বেশ কয়েকটি উপন্যাস চলচ্চিত্রে রূপায়িত হয়েছে। তিনি শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের একজন অধ্যাপক এবং তড়িৎ কৌশল বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব প্রাপ্ত ছিলেন।",
"মুহম্মদ জাফর ইকবালের উপর জঙ্গী আক্রমণ\n২০০৬ সালে নামে একটি নাটক তৈরী হয়; যার স্ক্রিপ্ট মুহম্মদ জাফর ইকবাল লিখেছিলেন। নাটকটি বাংলাদেশের বেসরকারী টিভি চ্যানেল এনটিভিতে প্রচারিত হয়। ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারী বইমেলা উপলক্ষে এই নাটকের স্ক্রিপ্টটিকে বই আকারে \"ভূতের বাচ্চা সোলায়মান\" নামে প্রকাশ করা হয়। বইটি একটি শিশুতোষ ভৌতিক কল্পকাহিনী।",
"মুহম্মদ জাফর ইকবালের উপর জঙ্গী আক্রমণ\nতৎকালীন সময়ে এবিষয়টা নিয়ে অনেকে তীব্র সমালোচনা করেছিলেন, বাংলাদেশ থেকে নির্বাসিত লেখিকা তসলিমা নাসরীন তার ফেসবুক পাতায় তার মত অধ্যাপক জাফর ইকবালকে দেশ ত্যাগে বাধ্য করা হবে বলে আশঙ্কা করেন। তিনি আরো বলেন যে, উক্ত বইটি কোনো ইসলামিক ইতিহাস নয়; নিছকই বাচ্চাদের জন্য লিখিত গল্প। যার সাথে ইসলামিক নবীর কোনো সংযোগ নেই। এমন অনেকের নাম আছে, যাদের নাম সোলায়মান; তাহলে কী এখন তাদের নামের বিরুদ্ধেও বিক্ষোভ করা হবে কিনা এমনটা তিনি জানতে চান।\nঅনেক সাধারণ মানুষ নিজেদের মত সমালোচনাও করেছেন, প্রশ্ন তুলেছেন, সোলায়মান নামে তো অনেক খারাপ মানুষ আছে বা এই বইয়েতো ইসলাম বিদ্বেষী কিছু নাই, তাহলে কেন এত উষ্কানী মুলক বক্তব্য করা হচ্ছে তবে এ সংক্রান্ত উষ্কানী মুলক বক্তব্যের মূল সমালোচনা শুরু হয়; জাফর ইকবালকে হত্যার জন্য দায়ী তার বই ফয়জুরের এই অজুহাত দিবার পরে।",
"মুহম্মদ জাফর ইকবালের উপর জঙ্গী আক্রমণ\nবই প্রকাশের পরপরই একশ্রেণির মহল বইয়ের নাম নিয়ে ফেসবুক, ও অনলাইন পোর্টাল জুড়ে লেখকের বই নিষিদ্ধ করার জন্য দাবী তুলে। বিভিন্ন ধর্মীয় মিডিয়ায় একে স্লো পয়জনিং বলে আখ্যায়িত করা হয়। বলা হয়, লেখক এখানে ইচ্ছাকৃতভাবে সোলায়মান নবীকে ব্যঙ্গ করেছেন। ধর্ম ভিত্তিক লেখালেখি করে এরকম অনেক কবি সাহিত্যিক লেখককে অশালীন ভাষায় আক্রমণ করেছেন, তাদের নিজস্ব ফেসবুক পেইজে। ইউটিউবে , , শিরোনামে অনেকে অধ্যাপককে আক্রমণ করে ভিডিও বানাতে থাকেন। ধর্মীয় অনলাইন পোর্টাল গুলোতে জাফর ইকবালকে ব্যঙ্গ করে অনেকে গল্প প্রবন্ধ লিখতে থাকেন।",
"মুহম্মদ জাফর ইকবাল\nজাফর ইকবালের জন্ম, ১৯৫২ সালের ২৩ ডিসেম্বর তারিখে সিলেটে। তার পিতা মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ফয়জুর রহমান আহমদ এবং মা আয়েশা আখতার খাতুন। বাবা ফয়জুর রহমান আহমদের পুলিশের চাকরির সুবাদে তার ছোটবেলা কেটেছে বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায়। মুহম্মদ জাফর ইকবালের নাম আগে ছিল বাবুল। পিতা লেখালেখির চর্চা করতেন এবং পরিবারের এই সাহিত্যমনস্ক আবহাওয়ায় জাফর ইকবাল খুব অল্প বয়স থেকেই লিখতে শুরু করেন। এটিকেই তিনি তার সহজ ভাষায় লিখতে পারার গুণের কারণ বলে মনে করেন। তিনি তার প্রথম বিজ্ঞান কল্পকাহিনী লেখেন সাত বছর বয়সে। ১৯৭১ সালের ৫ মে পাকিস্তানী আর্মি এক নদীর ধারে তার দেশপ্রেমিক পিতাকে গুলি করে হত্যা করে। বিশ্ববিদ্যালয়-পড়ুয়া জাফর ইকবালকে পিতার কবর খুঁড়ে তার মাকে স্বামীর মৃত্যুর ব্যাপারটি বিশ্বাস করাতে হয়েছিল"
] | 76 |
১৯৭১ সালের "অপারেশন সার্চলাইট" নামক গণহত্যায় বাংলাদেশের কতজন মানুষ নিহত হয়েছিল ? | [
"১৯৭১ বাংলাদেশে গণহত্যা\n১৯৭১ সালে বাংলাদেশে গণহত্যা কার্যক্রম অপারেশন সার্চলাইটের অধীনে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ থেকে পূর্ব-পরিকল্পিতভাবে পরিচালিত হয়েছিল। তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের বাঙালিদের স্বাধিকারের দাবিকে চিরতরে নির্মূল করতে পশ্চিম পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী এ কার্যক্রমে জড়িয়ে পড়ে। দীর্ঘ নয় মাসের বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী ও তাদের সহায়তাকারী দলগুলো ৩০,০০,০০০ ব্যক্তিকে হত্যা করেছিল। ২,০০,০০০ থেকে ৪,০০,০০০ বাঙালি মহিলাকে পরিকল্পিতভাবে ধর্ষণ করে। এছাড়াও, বাঙালি ও উর্দুভাষী বিহারিরা জাতিগত সহিংসতায় জড়িয়ে পড়ে। স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালীন সংঘটিত ঘটনাসমূহ গণহত্যা হিসেবে পরিচিতি পায়। অন্যদিকে ভারতীয় বংশোদ্ভূত জনৈকা মার্কিন শিক্ষাবিদ শর্মিলা বসু মন্তব্য করেছিলেন যে, বাঙালি জাতীয়তাবাদীরাও যুদ্ধকালীন বিহারিদের উপর গণহত্যা কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন।"
] | [
"বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ধর্ষণ\nপাকিস্তানে ১৯৭০ সালের ডিসেম্বর মাসে সাধারণ নির্বাচনের আয়োজন করা হয়। বিপুল ভোটে শেখ মুজিবুর রহমানের আওয়ামী লীগ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী এই ফল মেনে নিতে পারেনি। ঢাকায় একজন জেনারেল মন্তব্য করেন, \"চিন্তা করো না, আমরা এই কালো জারজদের কিছুতেই আমাদেরকে শাসন করতে দেবো না।\" প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে পূর্ব পাকিস্তানে সামরিক শাসন জারি করেন।\nবাঙালি জাতীয়তাবাদকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ 'অপারেশন সার্চলাইট' এর নামে বাঙালি নিধন শুরু করে। তারা হিন্দু এবং বাংলাভাষী মুসলিমদের নির্বিচারে হত্যা শুরু করে। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী কর্তৃক পরিচালিত গণহত্যায় ত্রিশ লক্ষাধিক মানুষ নিহত হয়, এক কোটি মানুষ শরণার্থী হয়ে পার্শ্ববর্তী ভারতে পালিয়ে যায় এবং দেশের মধ্যে তিন কোটি মানুষ নিরাপত্তাহীনভাবে টিকে থাকে।",
"অপারেশন সার্চলাইট\nঅপারেশন সার্চলাইট () ১৯৭১সালে ২৫ মার্চ থেকে শুরু হওয়া পাকিস্তানী সেনাবাহিনী কর্তৃক পরিচালিত পরিকল্পিত গণহত্যা, যার মধ্যমে তারা ১৯৭১ এর মার্চ ও এর পূর্ববর্তী সময়ে সংঘটিত বাঙালি জাতীয়তাবাদী আন্দোলনকে দমন করতে চেয়েছিল। এই গণহত্যা ছিল পশ্চিম পাকিস্তানী শাসকদের আদেশে পরিচালিত,যা ১৯৭০ এর নভেম্বরে সংঘটিত অপারেশন ব্লিটজ্ এর পরবর্তি অণুষঙ্গ। অপারেশনটির আসল উদ্দেশ্য ছিল ২৬ মার্চ এর মধ্যে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান এর (বর্তমান বাংলাদেশ) সব বড় বড় শহর দখল করে নেয়া এবং রাজনৈতিক ও সামরিক বিরোধীদের এক মাসের ভেতর নিশ্চিহ্ন করে দেয়া। বাঙালিরা তখন পাল্টা প্রতিরোধ সৃষ্টি করে,যা পাকিস্তানী পরিকল্পনাকারীদের ধারণার বাইরে ছিল। মে এর মাঝামাঝি সময়ে সকল বড় বড় শহরের পতন ঘটার মধ্যে দিয়ে অপারেশন সার্চলাইটের প্রধান অংশ শেষ হয়। এই সামরিক আক্রমণ ১৯৭১ সালের গণহত্যাকে ত্বরান্বিত করে। এই গণহত্যা বাঙালিদের ক্রুদ্ধ করে তোলে যে কারণে পাকিস্তান সেনবাহিনীর বাঙ্গালি সেনাপতি ও সৈনিকেরা বিদ্রোহ ঘোষণা করে, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষিত হয় এবং বহু মানুষকে শরণার্থীরূপে ভারতে আশ্রয় নিতে হয়। এই ভয়াবহ গণহত্যা ১৯৭১ এর বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সূত্রপাত ঘটায় এবং বাঙালিরা দখলদারী পাকিস্তানী বাহিনীকে বিতারিত করার সংগ্রামে লিপ্ত হয় পরিণতিতে ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের ১৬ই ডিসেম্বর ভারত ও বাংলাদেশের যৌথ কমান্ড \"মিত্র বাহিনী\" এর কাছে পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর বিনাশর্তে আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়।",
"১৯৭১ বাংলাদেশী বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড\n২৫ মার্চ রাতে অপারেশন সার্চলাইটের পরিকল্পনার সাথে একসাথেই বুদ্ধিজীবীদের হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। পাকিস্তানী সেনারা অপারেশন চলাকালীন সময়ে খুঁজে-খুঁজে বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করতে থাকে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষককে ২৫শে মার্চের রাতেই হত্যা করা হয়। তবে, পরিকল্পিত হত্যার ব্যাপক অংশটি ঘটে যুদ্ধ শেষ হবার মাত্র কয়েকদিন আগে। যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে পাকিস্তানী সেনাবাহিনী এবং তাদের প্রশিক্ষিত আধা-সামরিক বাহিনী আল-বদর এবং আল-শামস বাহিনী একটি তালিকা তৈরি করে, যেখানে এই সব স্বাধীনতাকামী বুদ্ধিজীবীদের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ধারণা করা হয় পাকিস্তানী বাহিনীর পক্ষে এ কাজের মূল পরিকল্পনাকারী ছিল মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলি। কারণ স্বাধীনতার পর ধ্বংসপ্রাপ্ত বঙ্গভবন থেকে তার স্বহস্তে লিখিত ডায়েরী পাওয়া যায় যাতে অনেক নিহত ও জীবিত বুদ্ধিজীবীর নাম পাওয়া যায়। এছাড়া আইয়ুব শাসন আমলের তথ্য সচিব আলতাফ গওহরের এক সাক্ষাৎকার হতে জানা যায় যে, ফরমান আলীর তালিকায় তার বন্ধু কবি সানাউল হকের নাম ছিল। \"আলতাফ গওহরে\"র অনুরোধক্রমে রাও ফরমান আলি তার ডায়েরীর লিস্ট থেকে \"সানাউল হকে\"র নাম কেটে দেন। এছাড়া আলবদরদের জন্য গাড়ির ব্যবস্থা তিনিই করেছিলেন বলে তার ডায়েরীতে একটি নোট পাওয়া যায়।",
"বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ\n২৫শে মার্চ রাতে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী শুরু করে অপারেশন সার্চলাইট নামের গণহত্যাযজ্ঞ। এশিয়া টাইমসের ভাষ্য অনুযায়ী,\nসামরিক বাহিনীর বড় বড় অফিসারদের নিয়ে বৈঠকে ইয়াহিয়া খান ঘোষণা করেন \"তিরিশ লক্ষ বাঙালিকে হত্যা করো, তখন দেখবে বাকিরা আমাদের হাত চেটে খাবে।\" সে পরিকল্পনা মতোই ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী \"অপারেশন সার্চলাইট\" আরম্ভ করে যার উদ্দেশ্য ছিল বাঙালি প্রতিরোধ গুঁড়িয়ে দেয়া। এরই অংশ হিসাবে সামরিক বাহিনীর বাঙালি সদস্যদের নিরস্ত্র করে হত্যা করা হয়, ছাত্র ও বুদ্ধিজীবীদের নিধন করা হয় এবং সারা বাংলাদেশে নির্বিচারে সাধারণ মানুষ হত্যা করা হয়।\nহত্যাকাণ্ডের খবর যাতে পৃথিবীর অন্যান্য দেশে না পৌঁছায় সে লক্ষ্যে ২৫ মার্চের আগেই বিদেশি সাংবাদিকদের ঢাকা পরিত্যাগে বাধ্য করা হয়। তারপরও সাংবাদিক সাইমন ড্রিং জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ঢাকায় অবস্থান করে ওয়াশিংটন পোস্টের মাধ্যমে সারা পৃথিবীকে এই গণহত্যার খবর জানিয়েছিলেন। যদিও এই হত্যাযজ্ঞের মূল কেন্দ্রবিন্দু ছিল ঢাকা, বাঙালি হত্যা পুরো দেশজুড়ে চালানো হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলো ছিল তাদের বিশেষ লক্ষ্য। একমাত্র হিন্দু আবাসিক হল - জগন্নাথ হল - পুরোপুরি ধ্বংস করে দেয় পাকিস্তানি সেনাবাহিনী। এতে ৬০০ থেকে ৭০০ আবাসিক ছাত্র নিহত হয়। যদিও পাকিস্তানি সেনাবাহিনী বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো ধরনের ঠাণ্ডা মাথার হত্যাকাণ্ডের কথা অস্বীকার করেছে, তবে হামিদুর রহমান কমিশনের মতে বিশ্ববিদ্যালয়ে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ব্যাপক শক্তি প্রয়োগ করেছিলো। জগন্নাথ হল এবং অন্যান্য ছাত্র হলগুলোতে পাকিস্তানিদের হত্যাযজ্ঞের চিত্র ভিডিওটেপে ধারণ করেন তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তান ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনলজি (বর্তমান বুয়েট) এর প্রফেসর নূরুল উলা।",
"গোপালপুর গণহত্যা\nগোপালপুর গণহত্যা হলো ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী দ্বারা সংঘটিত অন্যতম একটি গণহত্যা। এই গণহত্যাটি সংঘটিত হয়েছিল ১৯৭১ সালের ৫ মে নাটোর জেলার লালপুর উপজেলার অন্তর্গত গোপালপুর সদরে। এই গণহত্যার শিকার হয়েছিলেন উত্তরবঙ্গ চিনিকলে কর্মরত বাঙালিরা। \n২৫-শে মার্চ, ১৯৭১ এর মধ্যরাতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী হত্যার মাধ্যমে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের বাঙালি নৃজাতি নির্মূল করার পরিকল্পনা হাতে নেয়, যা অপারেশন সার্চলাইট নামে পরিচিত। এই আক্রমণ বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সূত্রপাত ঘটায় যা দীর্ঘ নয় মাস দীর্ঘস্থায়িত হয়েছিল।",
"১৯৭১ বাংলাদেশে গণহত্যা\nদীর্ঘ নয়মাসব্যাপী রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে পাকবাহিনী ও তার স্থানীয় সহযোগীরা সুপরিকল্পিতভাবে ৯৯১জন শিক্ষক, ১৩জন সাংবাদিক, ৪৯জন চিকিৎসক, ৪২জন আইনজীবী ও ১৬জন লেখক-প্রকৌশলীকে হত্যা করে। এমনকি ১৬ই ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধ শেষ হয়ে যাবার পরও অস্ত্রসজ্জিত পাকবাহিনী কিংবা তাদের দোসর কর্তৃক হত্যার ঘটনা ঘটেছে। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে ৩০ জানুয়ারি, ১৯৭২ তারিখে জনপ্রিয় চলচ্চিত্রকার জহির রায়হানের নিহত হওয়া। ঐদিন তিনি মিরপুরে অস্ত্রধারী বিহারীদের হাতে নির্মমভাবে নিহত হন। ১৪ ডিসেম্বরে হত্যার শিকারে পরিণত হওয়া ব্যক্তিদের স্মরণে বাংলাদেশে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়ে থাকে।",
"১৯৭১ বাংলাদেশে গণহত্যা\nমার্চ, ১৯৭১ সালে পূর্ব পাকিস্তানে বিচ্ছিন্নতাবাদী বাঙালী জাতীয়তাবাদী আন্দোলনকে নির্মূল করতে পাকিস্তানী সেনাবাহিনী কর্তৃক অপারেশন সার্চলাইটের মাধ্যমে সুপরিকল্পিতভাবে সেনা অভিযান পরিচালনা করেছিল। পশ্চিম পাকিস্তানে সরকারের আদেশক্রমে নভেম্বর, ১৯৭০ সালে পরিচালিত অপারেশন ব্লিটজের সাথে ধারাবাহিকতা বজায় রেখে এ অভিযান পরিচালিত হয়েছিল।",
"১৯৮৪ শিখ-বিরোধী দাঙ্গা\n১৯৮৩ থেকে পাঞ্জাবের পরিস্থিতি হিংসা-সন্ত্রাসে জর্জরিত হয়ে পড়েছিল। ‘৮৩র অক্টোবরে কয়েকজন শিখ উগ্রপন্থী একটি বাস থামিয়ে ৬জন হিন্দু যাত্রীকে গুলি করে হত্যা করে। একইদিনে উগ্রপন্থীরা রেলে ২জন কর্মচারীকে হত্যা করে। কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার পাঞ্জাবের প্রাদেশিক সরকারকে বর্খাস্ত করে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করে অপারেশন ব্লুষ্টার আরম্ভ হওয়ার পাঁচমাস আগের সময়কালে, ১ জানুয়ারী ১৯৮৪র থেকে ৩ জুন ১৯৮৪ পর্যন্ত পাঞ্জাবের চারপাশে বিভিন্ন হিংসাত্মক ঘটনায় ২৯৮জন মানুষ হত্যার বলি হয়। অপারেশন আরম্ভ হওয়ার পাঁচদিন আগের সময়কালে ৪৮জনকে হত্যা করা হয়। ’৮৪ সালের জুনের আগেভাগে প্রধান মন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী অমৃতসরের হরমন্দির সাহিবের (স্বর্ণমন্দির) চৌহদ্দি থেকে উগ্রপন্থী জার্ণাইল সিং ভিন্দ্রনবাল ও তাঁর সশস্ত্র অনুগামীদেরক অপসারণ করার উদ্দেশ্যে অপারেশন চালানোর জন্য ভারতীয় সেনাবাহিনীকে আদেশ দেন। ভিন্দ্রনবাল ১৯৮০র এপ্রিল থেকে হরমন্দির সাহিবে বাস করছিলেন এবং এটাকে তিনি মুখ্য কার্যালয় রূপে ব্যবহার করছিলেন। বিশাল পরিসরে সশস্ত্র কার্যকলাপ চালানোর জন্য গুরুদ্বারার মধ্যে অস্ত্রভান্ডার গড়ে তোলার অপরাধে ভিন্দ্রনবালকে দোষী করা হয়েছিল ।\n৩১ অক্টোবর ১৯৮৪এ দুজন শিখ দেহরক্ষীর দ্বারা ইন্দিরা গান্ধীর হত্যা হওয়ার পরদিন থেকে দিল্লী ও ভারতের ৪০ টিরও বেশি শহরে শিখ বিরোধী দাঙ্গা আরম্ভ হয়। সুলতানপুরী, মঙ্গলপুরী, ত্রিলোকপুরী ও অন্য ট্রেঞ্চ যমুনা অঞ্চল সমূহ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। উন্মত্ত জনতা লোহার রড, ছুরি, লাঠি, জ্বলনশীল পদার্থ, যেমন কেরাসিন, পেট্রোল ইত্যাদি নিয়ে সংঘর্ষ ঘটায়।",
"বাংলাদেশ সেনাবাহিনী\n১৯৭০ সালের নির্বাচনে শেখ মুজিবুর রহমান এর নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জয়লাভ করে। কিন্তু ক্ষমতায় থাকা সামরিক জান্তা ক্ষমতা হস্তান্তরে অস্বীকৃতি জানায় যার ফলস্বরূপ অসন্তোষ ছড়িয়ে পরে। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তান সশস্ত্র বাহিনী অপারেশন সার্চলাইট শুরুর মধ্য দিয়ে পূর্ব পাকিস্তানের বেসামরিক জনগণের উপর ঝাঁপিয়ে পরে। পাকিস্তানি বাহিনী এবং এর সহযোগী আধাসামরিক বাহিনী হাজার হাজার সামরিক-বেসামরিক মানুষ হত্যা করে। ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে শেখ মুজিবুর রহমান স্বাক্ষরিত বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষনা প্রচারিত হয়। মার্চ মাসেই ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের বাঙালি সৈন্যরা বিদ্রোহ করে এবং বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়। পরবর্তীতে ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলস (ইপিআর) সৈন্যরাও সশস্ত্র প্রতিরোধে অংশ নেয়। সামরিক বাহিনীর পাশাপাশি বেসামরিক জনগণ মিলে গড়ে তোলে মুক্তিবাহিনী। ১৭ এপ্রিল প্রবাসী বাংলাদেশ সরকার গঠিত হয় এবং কর্ণেল (অব:) মহম্মদ আতাউল গণি ওসমানীকে বাংলাদেশ বাহিনীর নেতৃত্বদানের দায়িত্ব দেয়া হয়।",
"বাংলাদেশ-ভারত সাইবার-যুদ্ধ ২০১২\nএই সীমান্ত নির্যাতনের ঘটনা যখন আলোচনার তুঙ্গে, তখনই ২০ জানুয়ারি কুমিল্লার দক্ষিণ উপজেলার গলিয়ারা ইউনিয়নের দলকুইয়া গ্রামের সীমান্ত থেকে অপহৃত হন টহলে থাকা বিজিবি হাবিলদার লুৎফর রহমান। ২১ জানুয়ারি তাকে আহত অবস্থায় অপহৃত বিজিবি সদস্যকে ফেরত দেওয়ার মাত্র ২ ঘণ্টা পরেই যশোরের শার্শা উপজেলার ধান্যখোলা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত হন রাশেদুল নামে এক বাংলাদেশী এবং আহত হন ৩ জন। এইসব সীমান্ত নির্যাতন ও হত্যার ঘটনা স্মরণ করিয়ে দেয় পুরোন অনেক নির্যাতন আর সীমান্ত-হত্যাকে। সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী বিগত ১০ বছরে বিএসএফের হাতে এক হাজারের বেশি বাংলাদেশী নিহত হয়েছে। এরমধ্যে ২০০১ সালে ৯৪ জন, ২০০২ সালে ১০৫ জন, ২০০৩ সালে ৪৩ জন, ২০০৪ সালে ৭৬ জন, ২০০৫ সালে ১০৪ জন, ২০০৬ সালে ১৪৬ জন, ২০০৭ সালে ১২০ জন ও ২০০৮ সালে ৬২ জন বাংলাদেশী নাগরিক বিএসএফের হাতে নিহত হন। মানবাধিকার সংগঠন \"অধিকার\"-এর \"মানবাধিকার রিপোর্ট-২০১১\" অনুযায়ী, ২০০৯-২০১১—এই তিন বছরে বিএসএফের হাতে নিহত হয়েছেন ২০৩ জন বাংলাদেশী নাগরিক। এর মধ্যে ২০০৯ সালে ৯৮ জন, ২০১০ সালে ৭৪ জন এবং ২০১১ সালে ১৫ বছরের কিশোরী ফেলানীসহ ৩১ জন। একই সময় বিএসএফের হামলায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারাত্মক আহত হয়েছেন ৯৮৭ জন, অপহরণের শিকার হয়েছেন অন্তত ১,০০০, নিখোঁজ হয়েছেন ২০০'রও বেশি মানুষ। সীমান্ত-হত্যা বিষয়ে \"অধিকার\"-এর প্রতিবেদনে আরো উল্লেখিত হয়, নিরস্ত্র নারী-পুরুষ, শিশুকে বিএসএফ হয় গুলি করে হত্যা করছে নতুবা নির্যাতন করে আহত করছে। এমনকি বিএসএফ বাংলাদেশ সীমান্তে অনুপ্রবেশ করে কৃষি-জমিতে কর্মরত কৃষককেও গুলি করে হত্যার ঘটনা ঘটাচ্ছে। ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ী উপজেলার অনন্তপুর সীমান্তের ৯৪৭ আন্তর্জাতিক সীমানা পিলারের কাছ দিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে ফেরার সময় ফেলানী (১৫) নামে এক কিশোরীকে বিএসএফ গুলি করে হত্যা করে এবং পাঁচ ঘণ্টা তার লাশ কাঁটাতারের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় রাখার পর ভারতে নিয়ে যায়। এইসকল পরিসংখ্যান প্রকাশের মাধ্যমে অতীত মাথাচাড়া দিয়ে উঠার পাশাপাশি তার সাথে উঠে আসে তিতাস নদীর সঠিক হিস্যা আর টিপাইমুখ বাঁধ ইস্যুও। আর তারই প্রেক্ষিতে শানিত হয় এই সাইবার-যুদ্ধ।"
] | 93 |
লুইস ফেদেরিকো লেলইর কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন ? | [
"লুইস ফেদেরিকো লেলইর\nলুইস ফেদেরিকো লেলইর, (; জন্ম: ৬ সেপ্টেম্বর, ১৯০৬ - মৃত্যু: ২ ডিসেম্বর, ১৯৮৭) ফ্রান্সের প্যারিসে জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত আর্জেন্টিনীয় চিকিৎসক ও জৈবরসায়নবিদ ছিলেন। ১৯৭০ সালে রসায়নে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন তিনি। ফ্রান্সে জন্মগ্রহণ করলেও তাঁর জীবনের অধিকাংশ সময়ই বুয়েন্স আয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করেন। এরপর ১৯৮৭ সালে মৃত্যু-পূর্ব পর্যন্ত ফান্দাসিওন ইনস্তিতুতো নামীয় ব্যক্তিগত গবেষণা দলের পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন।"
] | [
"লুইস ফেদেরিকো লেলইর\nআর্জেন্টিনায় ফিরে আসার পর লেলইর তাঁর আজেন্টিনীয় নাগরিকত্ব লাভ করেন ও বুয়েন্স আয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন মেডিসিন বিভাগে যোগ দেন। তবে শুরুটা তাঁর মোটেই ভালো হয়নি। শরীরবিদ্যা পরীক্ষায় কৃতকার্য হবার জন্য তাঁকে চারবার অংশগ্রহণ করতে হয়েছে। অবশেষে ১৯৩২ সালে তিনি ডিপ্লোমা লাভ করেন ও হসপিটাল ডে ক্লিনিকাসে আবাস গড়েন। রামোস মেজিয়া হাসপাতালে ডাক্তারি ইন্টার্নশীপ করেন। কিন্তু সহকর্মীদের সাথে মতবিরোধ ও রোগীদের রোগ নিরসনকল্পে তাঁর সেবার ধরন প্রবল বাঁধার সম্মুখীন হন। এরফলে লেলইর গবেষণাগারে গবেষণা কর্মে মনোনিবেশ ঘটানোকল্পে নিজেকে উৎসর্গ করেন। তিনি দাবী করেন, আমরা রোগীদের জন্য কিছুটা হলেও করবো ... ঐ সময়ে অ্যান্টিবায়োটিক, সাইকোঅ্যাক্টিভ ও নতুন ধরনের থেরাপিউটিক উপাদানের বিষয়গুলো অজানা ছিল।",
"লুইস ফেদেরিকো লেলইর\nলেলইরের পিতা-মাতা ফেদেরিকো লেলইর ও হর্তনসিয়া আগুইর ডে লেলইর ১৯০৬ সালের মাঝামাঝি সময়কালে বুয়েন্স আয়ার্স থেকে প্যারিসে চলে যান। সেখানে ফেদেরিকো অসুস্থতার জন্য চিকিৎসাকর্মে ব্যস্ত থাকেন। আগস্টের শেষদিকে ফেদেরিকোর দেহাবসান ঘটার কয়েক সপ্তাহ পর আর্ক দ্য ত্রিয়োম্ফের কয়েক ব্লক দূরে প্যারিসে ৮১ ভিক্টর হুগো রোডের একটি পুরনো গৃহে লুইসের জন্ম হয়। ১৯০৮ সালে তারা আর্জেন্টিনায় ফিরে আসেন। লেলইর তার আট ভাই-বোনকে নিয়ে একত্রে বড় হতে থাকেন। ‘এল তুয়ো’য় তাদের পরিবারের বিশাল সম্পত্তি ছিল। ঐ সম্পত্তি তাঁর দাদা স্পেনের উত্তরাঞ্চলীয় বাস্ক কান্ট্রি থেকে অভিবাসিত হবার পর ক্রয় করেন। স্পেন: এল তুয়ো ৪০০ বর্গকিলোমিটারের বালুকাময় ভূমি যা সান ক্লিমেন্টে ডেল তুয়ো থেকে মার ডে আজো উপকূল রেখা বরাবর অবস্থিত। এরপর থেকেই এলাকাটি জনপ্রিয় পর্যটন আকর্ষণ কেন্দ্রে পরিণত হয়।",
"লুইস ফেদেরিকো লেলইর\nলেলইর তাঁর নম্রতাপূর্ণ আচরণ, দৃষ্টিভঙ্গী ও দৃঢ়তার কারণে পরিচিত হয়ে আছেন। অনেকেই তাঁকে ‘বিজ্ঞানের প্রকৃত সন্ন্যাসীরূপে’ আখ্যায়িত করেছেন। প্রত্যেক সকালে তাঁর স্ত্রী আমেলিয়া তাঁদের ফিয়াট ৬০০ গাড়ী চালিয়ে ১৭১৯ জুলিয়ান আলভারেজ স্ট্রীটে অবস্থিত ফান্দাসিওন ইনস্টিটিউটো ক্যাম্পোমারে নামিয়ে দিতেন। লেলইর ধূসর রঙের একই পোষাকে যেতেন। রুক্ষ্ম আসনে বসে কাজ করে গেছেন দশকের পর দশক। সহকর্মীদেরকে উৎসাহিত করতেন। সময়কে মূল্যায়ণ করতে গবেষণাগারেই দুপুরের খাবার সেরে নিতেন। পর্যাপ্ত মাংস এনে সকলের মাঝে সমবন্টন করতেন তিনি। সংযমতা পালন ও গবেষণায় নিবেদিতপ্রাণ হওয়া স্বত্ত্বেও সামাজিক মানুষ হিসেবে একাকী কোন কাজ করতে পছন্দ করতেন না।",
"লুইস ফেদেরিকো লেলইর\n১৯৫৭ সালে ক্যাম্পোমারের মৃত্যুর পর লেলইর ও তাঁর সঙ্গীরা জাতিসংঘের নিয়ন্ত্রণাধীন জাতীয় স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে অর্থ বরাদ্দের জন্য আবেদন করে। আশ্চর্যজনকভাবে তাঁদের আবেদন গ্রহণ করা হয়েছিল। ১৯৫৮ সালে ইনস্টিটিউটটি আর্জেন্টিনীয় সরকারের অর্থানুকূল্যে প্রতিষ্ঠিত সাবেক অল-গার্লস স্কুলে প্রতিষ্ঠিত হয়। ফলশ্রুতিতে লেলইর ও তাঁর গবেষক দল ব্যাপক প্রশংসা পায়। আর্জেন্টিনীয় গবেষণা সংস্থা থেকেও আরও গবেষণাকর্ম আসতে থাকে। পরবর্তীতে ইনস্টিটিউটটি বুয়েন্স আয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে চলে যায়।",
"লুইস ফেদেরিকো লেলইর\nশৈশবকালেই ভবিষ্যতের নোবেল পুরস্কার বিজয়ীর মাঝে প্রাকৃতিক শক্তির বিষয়ে সবিশেষ আগ্রহ লক্ষ্য করা যায়। তাঁর বিদ্যালয়ের কাজ ও পড়াশোনার সাথে প্রাকৃতিক বিজ্ঞান ও জীববিদ্যার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। তাঁর প্রাথমিক শিক্ষা ইস্কুলা জেনারেল সান মার্টিনে, মাধ্যমিক শিক্ষা কলেজিও লাকোরেডারে এবং কয়েক মাস ইংল্যান্ডের বিউমন্ট কলেজে কাটে। তবে তাঁর ফলাফল তেমন দর্শনীয় ছিল না। কলেজে থাকাকালে স্থাপত্যবিদ্যা শিক্ষা বাদ দেন ও প্যারিস ইকোল পলিটেকনিকে ভর্তি হন।",
"লুইস ফেদেরিকো লেলইর\n২ ডিসেম্বর, ১৯৭০ তারিখে লেলইর সুইডেনের রাজার কাছ থেকে রসায়নে নোবেল পুরস্কার গ্রহণ করেন। তিনি ল্যাকটোজে বিপাকপ্রক্রিয়ার পথ আবিষ্কারে সক্ষমতা দেখিয়েছিলেন। এরফলে তৃতীয় আজেন্টিনীয় হিসেবে যে-কোন বিষয়ে এ মর্যাদাপূর্ণ সম্মানে অভিষিক্ত হন তিনি। স্টকহোমে এ পুরস্কার গ্রহণকালে কমন্স সভায় ১৯৪০ সালে উইনস্টন চার্চিলের প্রদেয় খ্যাতনামা বক্তব্য, ‘আমি কখনো এতো অল্পের জন্য এতো বড় কিছু আশা করিনি’ - বক্তব্যটির পুণরুল্লেখ করেন। লেলইরের নির্দেশনায় পরিচালিত ফান্ডাসিও ইনস্টিটিউটো ক্যাম্পোমারে অংশগ্রহণকারী দলের সদস্যরা টেস্ট টিউব থেকে শ্যাম্পেন পানীয় দিয়ে উৎসব পালন করে। গৃহীত $৮০,০০০ মার্কিন ডলারের সমূদয় অর্থ গবেষণাকর্মের জন্য সরাসরি প্রদান করা হয়। তাঁর এ অর্জনের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি বলেন:\n১৯৮৩ সালে জৈবরসায়নের বার্ষিক পর্যালোচনা সংখ্যায় ‘লং এগো এন্ড ফার এওয়ে’ শীর্ষক সংক্ষিপ্ত আকারে আত্মজীবনী প্রকাশ করেন। ঐ লেখায় লেলইর দাবী করেন, জনৈক উইলিয়াম হেনরি হাডসনের উপন্যাসে দেশের বন্যজীবন ও লেলইরের শৈশবকালের সাথে সম্পর্কযুক্ত লেখা থেকে তিনি উদ্বুদ্ধ হয়েছেন।",
"লুইস ফেদেরিকো লেলইর\n২ ডিসেম্বর, ১৯৮৭ তারিখে তাঁর দেহাবসান ঘটে ও লা রিকোলেতা সিমেট্রিতে তাঁকে সমাহিত করা হয়। গবেষণাগার থেকে বাড়ী ফেরার পথে হৃদযন্ত্রক্রীয়ায় আক্রান্ত হন। লেলইরের বন্ধু ও সহকর্মী মারিও বাঞ্জ মন্তব্য করেন যে, ‘তাঁর সর্বশেষ কীর্তিগাঁথা আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বিজ্ঞানীদের গবেষণায় উদ্বুদ্ধ করেছে। তবে, অনুন্নত দেশে মাঝারী মানের রাজনৈতিক শত্রুতায় নিরাপত্তাহীনতায় ভোগা খুবই স্বাভাবিক বিষয়।’ কিন্তু, লেলইরের দৃঢ়তাপূর্ণ নজরদারি ও ইচ্ছাশক্তির ফলেই এ সফলতা অর্জন করা সম্ভব হয়েছে। ভয়ানকভাবে আর্থিক সঙ্কটে থাকার ফলে ব্যক্তিগত জিনিসপত্রাদিও গবেষণাগারে দান করেছেন। গবেষণাগারের গ্রন্থাগার রক্ষার্থে তিনি অস্থায়ীভাবে আবরণ দিয়েছিলেন।",
"লুইস ফেদেরিকো লেলইর\nগবেষণাগারে তাঁর দায়িত্ব শেষ হবার পর লেলইর শিক্ষাদানকার্য চালিয়ে যেতে থাকেন। বুয়েন্স আয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাকৃতিক বিজ্ঞান দপ্তরে এ দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৩ সালে তৃতীয় বিশ্বের বিজ্ঞান একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হন লেলইর। এ সংস্থাটিই পরবর্তীকালে টিডব্লিউএএস নামে পুণঃনামাঙ্কিত হয়েছিল।",
"অর্ডার অব দ্য ফিনিক্স (কাল্পনিক সংগঠন)\nলিলি হোরেস স্লাগহর্নের অন্যতম প্রিয় ছাত্রী ছিল। স্লাগহর্ন লিলিকে \"খুব সাহসী\", \"খুবই ফানি\", \"সজীব\" ও \"সিদা উৎফুল্ল\" হিসেবে বর্ণনা করেছেন। সে একজন মাগলবর্ন অর্থাৎ মাগল বংশজাত হওয়া সত্ত্বেও জাদুবিদ্যায় তার পারদর্শিতা ছিল অনন্য। সে একজন অসামান্য ভাল ছাত্রী ছিল। হগওয়ার্টসে তার পঞ্চম বর্ষে সে প্রিফেক্ট ও সপ্তম বর্ষে হেডগার্ল নিযুক্ত হয়েছিল। তার বোন পেতুনিয়া ডার্সলি তাকে 'ফ্রিক' হিসেবে বর্ণনা করলেও পরে জানা যায় যে, পেতুনিয়া আসলে লিলির প্রতি জেলাস ছিল। লিলির পেট্রোনাস ছিল হরিণী। প্রথম প্রথম লিলি জেমসকে অপছন্দ করলেও তাদের স্কুলের সপ্তম বর্ষ থেকে লিলি ও জেমস একসাথে চলাফেরা করতে শুরু করে এবং স্কুল ত্যাগ করার পরপরই তারা পরস্পর বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়। বিয়ের অনুষ্ঠানে সিরিয়াস বেস্টম্যান ছিল।"
] | 7 |
সেলুলার জেল আন্দামানের কোথায় অবস্থিত ? | [
"সেলুলার জেল\nসেলুলার জেল বা কালাপানি (হিন্দি ভাষায়: काला पानी क़ैद ख़ाना) ভারতের আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে অবস্থিত একটি পূর্বতন কারাগার। ১৯০৬ সালে এই কারাগারটির নির্মাণ সম্পন্ন হয়। ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশগ্রহণকারী বহু বিশিষ্ট আন্দোলনকারী যেমন বটুকেশ্বর দত্ত, উল্লাসকর দত্ত ও বিনায়ক দামোদর সাভারকরকে এই কারাগারে বন্দী করে রাখা হয়েছিল। এখন এই দালানটি জাতীয় স্মৃতি স্মারক হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। আন্দামান দ্বীপপুঞ্জে একমাত্র সেলুলার জেলটিই পোড়ামাটির ইঁটে নির্মিত।",
"জেলে ত্রিশ বছর\nএই বইয়ে আন্দামানের সেলুলার জেলের বন্দিদের জীবনের মর্মস্পর্শী বিবরণ আছে। আন্দামানের বন্দি জীবন ছিলো অমানবিক ও দুঃসহ। প্রায় জনমানবহীন দ্বীপের মধ্যে বিচ্ছিন্ন অবস্থায় ছোট ছোট সেলে আবদ্ধ থাকার সশ্রম দণ্ডে অনেকেই মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলতেন, কেউ কেউ আত্মহত্যা পর্যন্ত করতেন।"
] | [
"গোলাম হোসেন (বীর প্রতীক)\nসিলেট জেলার জৈন্তাপুরের অন্তর্গত তামাবিল ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে অবস্থিত। সীমান্তের ওপারে ভারতের ডাউকি। তামাবিলের পশ্চিমে জাফলং। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে প্রতিরোধযুদ্ধ শেষে সিলেট অঞ্চলের মুক্তিযোদ্ধাদের একাংশ অবস্থান নেন ডাউকিতে। তাঁরা বেশির ভাগ ছিলেন ইপিআর সদস্য। কয়েকটি দলে বিভক্ত। একটি দলের নেতৃত্বে ছিলেন গোলাম হোসেন। অন্যদিকে, তামাবিল ও জাফলংয়ে ছিল পাকিস্তান সেনাবাহিনীর অবস্থান। মুক্তিযোদ্ধারা প্রায়ই সীমান্ত অতিক্রম করে তামাবিল ও জাফলংয়ে পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে আক্রমণ করতেন। এরই ধারাবাহিকতায় ২৫ জুন মুক্তিযোদ্ধাদের দুটি দল তামাবিলে অবস্থানরত পাকিস্তানি সেনাদের আক্রমণ করে। এই আক্রমণে সার্বিক নেতৃত্ব দেন বি আর চৌধুরী । একটি দলের নেতৃত্ব দেন গোলাম হোসেন।",
"সিউল\nসিউলের ব্যবসাবাণিজ্যিক এলাকাগুলি শহরের কেন্দ্রে ও হান নদীর দক্ষিণ তীরে অবস্থিত। কলকারখানাগুলি শহরের পশ্চিম অংশে (বিশেষ করে ইয়েওংদেউংপো এলাকাতে) অবস্থিত। অন্যদিক অপেক্ষাকৃতি নিম্নবিত্ত আবাসিক এলাকাগুলি শহরের পূর্ব অংশে অবস্থিত। শহরের উত্তর অংশটি পর্বতময় এবং এখানে অনেক উদ্যান ছাড়াও রাষ্ট্রপতির প্রাসাদ বা চোংওয়াদায়ে (নীল বাড়ি) অবস্থিত।",
"আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ\n১৮৫৭ সালের মহাবিদ্রোহের পর ব্রিটিশ সরকার এখানে একটি বন্দীনিবাস স্থাপনের পরিকল্পনা করে। ১৮৫৮ সালে ভাইপার দ্বীপে তৈরি হয় একটি কারাগার, একটি গ্যালো ও একটি জনবসতি। ২০০ জন বন্দীকে এই কারাগারে এনে রাখা হয়। এঁদের অধিকাংশই ছিলেন ব্রিটিশ ভারতীয় সেনাবাহিনীর বিদ্রোহী সৈনিক। ১৯০৬ সালে পোর্ট ব্লেয়ারে সেলুলার জেল তৈরি হলে আগের কারাগারটি পরিত্যক্ত হয়।",
"তাজুমাল\nতাজুমাল সান্তা আনা ডিপার্টমেন্টের অধীন চালচুয়াপা পৌর এলাকায় অবস্থিত। রিও পাজ নিষ্কাষন খাল এর মাঝ দিয়ে বয়ে গেছে। সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে ৭২০ (২,৩৬০ ফুট) উঁচু এ এলাকায় ভগ্নাবশেষ রয়েছে। সমসাময়িক মায়া শহর কামিনালজুয়ু থেকে প্রায় ১২০ কিলোমিটার (৭৫ মাইল) দূরে এর অবস্থান। ধ্রুপদী যুগের শেষদিককায় গড়ে উঠা ছোট্ট এলাকা আলুমুলাঙ্গার দক্ষিণ-পূর্বাংশে মাত্র ৪ কিলোমিটার (২.৫ মাইল) দূরে তাজুমাল অবস্থিত।",
"শের আলি\nশীর্ষস্থানীয় ওয়াহাবী নেতা মৌলানা জাফর থানেশ্বরী সহ অন্যান্য বিপ্লবীকে ধরিয়ে দেওয়া ও পুলিশের গুপ্তচরবৃত্তির সন্দেহে হায়দার আলি নামক এক যুবককে হত্যা করেন শের আলি। পেশোয়ার থেকে তিনি গ্রেপ্তার হন ১৮৬৭ সালে। বিচারে তার মৃত্যুদন্ড হয়। কলকাতা হাইকোর্ট আপিলে তাকে যাবজ্জীবন দ্বীপান্তরে দন্ডিত করে। আন্দামানে তখনো সেলুলার জেল তৈরি হয়নি। বন্দীদের বিভিন্ন দ্বীপে কঠোর পাহারায় রাখা হতো। পোর্ট ব্লেয়ারের হোপ টাউন অঞ্চলের পানিঘাটায় বন্দি ছিলেন শের আলি।",
"সিউল রাজধানী অঞ্চল\nসিউল রাজধানী অঞ্চল (এসসিএ) (, ) বা গেয়ঙ্গি অঞ্চল () উত্তর-পশ্চিম দক্ষিণ কোরিয়াতে অবস্থিত সিওল, ইনছন এবং গাইংগি-ডের এলাকা নিয়ে গঠিত একটি মহানগর এলাকা। এর জনসংখ্যার ২৫ মিলিয়ন (২০১৭ সালের হিসাবে) এবং জনসংখ্যার হিসাবে এটি বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম মহানগর এলাকা। এই মহানগর এলাকাটি প্রায় ১১,৭০৪ বর্গ কিমি (৪,৫১৯ বর্গ মাইল) এলাকা জুড়ে গড়ে উঠেছে। এটি দক্ষিণ কোরিয়ার সাংস্কৃতিক, বাণিজ্যিক, আর্থিক, শিল্প এবং আবাসিক কেন্দ্র গঠন করে। প্রায় ১০ মিলিয়ন জনসংখ্যার সাথে সিউল মহানগর অঞ্চলটির সবচেয়ে বড় শহর। এছাড়া ইনছন শহরের সংখ্যা ৩ মিলিয়ন।",
"সাইতুয়াল\nসাইতুয়াল () ভারতের মিজোরাম রাজ্যের আইজল জেলার একটি শহর।",
"সুবোধ চৌধুরী\nষোল বছর তিনি জেলজীবন যাপন করেছিলেন। আন্দামানে সেলুলার জেলে ছিলেন। জেলে এবং মূল ভূখণ্ডে আন্দোলনের ফলে গণেশ ঘোষ, অনন্ত সিংহ প্রমুখের সঙ্গে সুবোধ চৌধুরীকেও ১৯৩৮ সালে আলিপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে ফিরিয়ে আনা হয়। শেষে ঢাকা সেন্ট্রাল জেল থেকে মুক্তি পান ১৯৪৬ সালের ৩১শে আগস্ট।।"
] | 27 |
আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ কবে জন্মগ্রহণ করেন ? | [
"আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ\nমুজাহিদ ১৯৪৮ সালে ফরিদপুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় তার পিতা মওলানা মোহাম্মদ আলী শান্তি কমিটির সদস্য ছিলেন। শান্তি কমিটিও মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত। স্বাধীনতার পর স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের অণুরোধে তিনি শেখ মুজিবর রহমান কর্তৃক বিচারের হাত থেকে রক্ষা পান। ফরিদপুর শহর থেকে প্রাথমিক শিক্ষাজীবন শেষ করে ১৯৭০ সালে তিনি উচ্চ শিক্ষার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন।"
] | [
"মুহাম্মদ আলী\nমুহাম্মদ আলী জানুয়ারি ১৭, ১৯৪২ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা ক্লে সিনিয়র সাইনবোর্ড এবং বিলবোর্ড রঙ করতেন এবং মা ওডিসা গ্র্যাডি ক্লে একজন গৃহিনী ছিলেন। যদিও ক্লে সিনিয়র একজন মেথডিস্ট ছিলেন কিন্তু তার সন্তানদের বাপ্টিস্টে নিতে তার স্ত্রীকে অনুমতি দিতেন।\nক্যাসিয়াস মার্সেলাস ক্লে জুনিয়র ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দের ১৭ই জান্যারি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কেন্টাকির লুইভিলাতে জন্মগ্রহণ করেন। দুই ভাইয়ের বড় ক্লের নামকরণ তাঁর পিতা ক্যাসিয়াস মার্সেলাস ক্লে সিনিয়রের নামে করা হয়, যার নাম একই নামের একজন উনবিংশ শতাব্দীর মার্কিন রাজনীতিবিদের সম্মানে রাখা হয়েছিল। ক্লের পিতামহ ও পিতামহীর নাম ছিল জন ক্লে ও সালি অ্যানা ক্লে। ক্লের ভগিনী ইভার বয়ান অনুযায়ী সালি মাদাগাস্কারের অধিবাসী ছিলেন। ক্লের পিতা একজন রংমিস্ত্রি ছিলেন, এবং তাঁর মাতা ওডেসা গ্রেডি ক্লে একজন গৃহপত্নী ছিলেন। সিনিয়র ক্লে প্রাক-গৃহযুদ্ধের দক্ষিণাংশের একজন আফ্রিকান আমেরিকান ক্রীতদাসের বংশধর ছিলেন।",
"আবুল হাসান আলি আল হাসানি নদভি\nতিনি ১৯১৩ খ্রীস্টাব্দের ৫ ডিসেম্বর ভারতের রায়বেরেলি নামক স্থানে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবার নাম আবদুল হাই এবং মাতার নাম খায়রুন্নেসা। তারঁ পিতা-মাতা উভয়েই মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নাতি হাসান রাযিআল্লাহু আনহুর বংশধর ছিলেন। ১৯২৩ খ্রীস্টাব্দে মাত্র ১০ বছরেরও কম বয়সে তিনি পিতৃহারা হন। এমতাবস্থায় বড় ভাই মাওলানা আব্দুল আলী আল হাসানী এবং মা খাইরুন নিসা তাঁর শিক্ষার দায়িত্ব গ্রহণ করেন। শৈশবে মায়ের কাছেই আলী মিয়াঁ কোরআন, আরবি ও উর্দূ ভাষার প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করেন। আলী মিয়াঁ ১৯২৪ খ্রীস্টাব্দে শায়খ খলীল বিন মুহাম্মদ আল আনসারীর কাছে আরবি ভাষা শেখা শুরু করেন এবং এই ভাষায় বুৎপত্তি অর্জন করেন। এছাড়া তিনি তাঁর দুই চাচা শায়খ আযীযুর রহমান এবং শায়খ মুহাম্মদ তালহার কাছেও আরবি ভাষা ও সাহিত্য পড়েন।পরবর্তীতে ১৯৩০ সালে নদওয়াতুল উলামাতে ড: তাকীউদ্দীন হেলালীর কাছে আরবি ভাষা ও সাহিত্যে সর্বোচ্চ শিক্ষা সমাপন করেন। ১৯২৬ সনে তিনি কানপুরের নদওয়াতুল উলামাতে ভর্তি হন। এ সময়ে আরবি ভাষায় পারদর্শিতার কারণে তিনি সবার কাছে পরিচিতি লাভ করেন। এবং আরবদেশ থেকে আগত মেহমানদের সাথে দোভাষী হিসেবে তিনি বিভিন্ন জায়গায় সফর করেন। ১৯২৭ সালে তিনি লখনৌ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন এবং সেখান থেকে উর্দূ ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন।১৯২৮সাল থেকে ১৯৩০সাল পর্যন্ত তিনি ইংরেজি ভাষা অধ্যয়ন করেন। যা ইসলাম সম্পর্কে লিখিত ইংরেজি বই থেকে সরাসরি তথ্য সংগ্রহে তাঁর সহায়ক হয়।১৯২৯সালে তিনি আবার নদওয়াতুল উলামায় ভির্তি হন এবং তিনি একনিষ্ঠভাবে আল্লামা মুহাদ্দিস হায়দার হোসেন খানের দরসে অংশগ্রহণ করেন এবং তাঁর কাছেই সাহীহায়ন,সুনানে আবু দাউদ এবং তিরমীজী শরীফ সমাপ্ত করেন। তার কাছে আলী মিয়াঁ তাফসীরে বায়জাভীরও কিছু অংশ পড়েন। আলী মিয়াঁ তার শিক্ষক খলীল বিন মুহাম্মদের কাছেই নির্বাচিত কিছু সূরার তাফসীর পড়েন। এছাড়া আব্দুল হাই আল ফারুকীর কাছেও তিনি কোরআনের কিছু অংশের তাফসীর পড়েন। তবে মাদ্রাসার সুনির্দিষ্ট পাঠ্যসূচী অণুযায়ী তিনি সম্পূর্ণ কোরআনের তাফসীর অধ্যয়ন করেন ১৯৩২সালে লাহোরে আল্লামা মুফাসসির আহমাদ আলী লাহোরীর কাছে। এ বছরই তিনি দেওবন্দে শায়খুল ইসলাম আল্লামা হুসাইন আহমাদ মাদানীর কাছে কয়েক মাস থাকেন এবং তার সহীহ বুখারী ও সুনানে তিরমীজীর দরসে উপস্থিত থাকেন। আলী মিয়াঁ তার কাছে উলুমুল কোরআন এবং তাফসীরও পড়েন। এছাড়া আলী মিয়াঁ শায়খ ইজাজ আলীর কাছে ফিকহ এবং ক্বারী আসগর আলীর কাছে তাজবীদ শেখেন।",
"মুহাম্মদ আলি পাশা\nমুহাম্মদ আলি উসমানীয় রুমেলি এয়ালেতের (বর্তমান গ্রীস) কাভালা শহরে এক আলবেনীয় পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার সাক্ষাৎকার নেয়া অনেক ফরাসি, ইংরেজ ও অন্যান্য পশ্চিমা সাংবাদিক এবং তার চেনাপরিচিত লোকজনদের মতে তুর্কি ভাষায় কথা বলতে পারলেও তিনি শুধু আলবেনীয় ভাষায় স্বতঃস্ফূর্তভাবে কথা বলতে পারতেন। একটি মতানুযায়ী তার পূর্বপুরুষরা তুর্কি ছিলেন এবং তারা দক্ষিণ-পূর্ব আনাতোলিয়া থেকে অভিবাসী হয়েছিলেন। তবে তার বংশধররা এই মত মানেন না। অন্যান্য ইতিহাসবিদদের মতে তার পরিবার জাতিগতভাবে আলবেনীয় এবং আলবেনিয়া তাদের আদি বাসস্থান। তার বাবা ইবরাহিম আগা ও মা জয়নব। মুহাম্মদ আলির অল্প বয়সে তার বাবা মারা যাওয়ার পর তার চাচার কাছে তিনি প্রতিপালিত হন। মুহাম্মদ আলির কঠোর পরিশ্রমের পুরস্কার হিসেবে তার চাচা তাকে কাভালা শহরে কর সংগ্রহের জন্য বুলাকবাশি পদ প্রদান করেছিলেন।",
"আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ\n২০১৩ সালের ১৭ই জুলাই, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল-২, মুজাহিদের বিরুদ্ধে গণহত্যা, বুদ্ধিজীবি হত্যার পরিকল্পনা, নির্যাতন ইত্যাদিসহ মোট উত্থাপিত ৭টি অভিযোগের মধ্যে ৫টিতে তাকে দোষী সাবস্থ্য করেন এবং দুটি অভিযোগে তাকে মৃত্যুদন্ড আদেশ দেয়া হয়। ২১শে নভেম্বর আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ ও অপর দন্ডপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধী সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী কারাকর্তৃপক্ষের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের নিকট প্রাণভিক্ষার জন্য আবেদন করেন কিন্তু রাষ্ট্রপতি দুজনের আবেদনই নাকচ করে দেন। ২২শে নভেম্বর ২০১৫ সালে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে রাত ১২টা ৪৫ মিনিটে দুজনকে একই সাথে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়। তিনি ২০০১-২০০৭ সময়কালে চারদলীয় জোট সরকারের সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ছিলেন।",
"আলি খামেনেই\nআয়াতুল্লাহ সৈয়দ আলী খামেনেয়ী ১৯৩৯ সালের ১৫ জুলাই মাশহাদ শহরে জন্মগ্রহণ করেন। খামেনেয়ী ‘সৈয়দ’ খেতাব ধারণ করেন যা সরাসরি বংশানুক্রমে সুন্নি ইসলামের চতুর্থ খলিফা ও শিয়া ইসলামের প্রথম ইমাম আলী ইবনে আবু তালিব হতে পাওয়া। খামেনেয়ীর পূর্বপুরুষদের বেশিরভাগই বর্তমান ইরানের তাফরেজ থেকে আগত এবং তাঁরা দেশান্তরিত হয়ে তাবরিজ শহরে বসবাস শুরু করেন। তাঁর পিতার নাম সৈয়দ জওয়াদ খামেনেয়ী এবং মাতার নাম খাদিজা মিরদামাদী। মা-বাবার আট সন্তানের মধ্যে খামেনেয়ী দ্বিতীয়, এর মধ্যে তার দুই ভাই-ই ধর্মগুরু। তাঁর ছোট ভাই হাদী খামেনেয়ী একটি ইরানি সংবাদপত্রের সম্পাদক ও ধর্মগুরু।",
"আহসান হাবীব (কার্টুনিস্ট)\nআহসান হাবী্ব ১৯৫৭ খ্রিষ্টাব্দের ১৫ই নভেম্বর সিলেটে জন্মগ্রহন করেন। পিতা ফয়জুর রহমান আহমদ এবং মা আয়েশা ফয়েজ। তাঁর পিতা একজন পুলিশ কর্মকর্তা ছিলেন এবং তিনি ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তৎকালীন পিরোজপুর মহকুমার এসডিপিও (ইংরেজী: SDPO - Sub-Divisional Police Officer) হিসেবে কর্তব্যরত অবস্থায় শহীদ হন।তিনি পত্র-পত্রিকায় লেখালিখি করতেন। বগুড়া থাকার সময় তিনি একটি গ্রন্থও প্রকাশ করেছিলেন। গ্রন্থের নাম 'দ্বীপ নেভা যার ঘরে'। তাঁর মায়ের লেখালিখির অভ্যাস না-থাকলেও একটি আত্ম জীবনী গ্রন্থ রচনা করেছেন যার নাম 'জীবন যে রকম'। তাছাড়া তিনি 'বেগম' পত্রিকাসহ কিছু ডিটেকটিভ পত্রিকাতেও লিখালিখি করেছেন। আহসান হাবীব ছোটোবেলায় আটটি ভিন্ন স্কুলে পড়াশোনা করেছিলেন। তার ছেলেবেলার বেশিরভাগ সময়ই কাটে বগুড়া, চিটাগং, কুমিল্লা, পিরোজপুর, দিনাজপুর, মোহনগঞ্জ সহ আরও কিছু জায়গায়। তার ডাক নাম শাহীন। নাম ঠিক করার সময় বিজ্ঞানী কুদরাত-এ-খুদার নাম অনুসারে আহসান হাবীবের ভালো নাম রাখা হয়েছিল কুদরতে খোদা। পরবর্তীতে নাম পরিবর্তন করে রাখা হলো ইবনে ফয়েজ মুহম্মদ আহসান হাবীব। পরে তা শুধু আহসান হাবীব হয়ে গেল!",
"আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ\nআলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ ছিলেন বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ ও সাবেক মিলিশিয়া কমান্ডার যিনি মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাধারণ সচিব ছিলেন; ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য দোষী সাব্যস্ত ও সর্বোচ্চ আদালত কর্তৃক মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধী। মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি আধা-সামরিক বাহিনী আল বদরের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড ছিলেন যারা যুদ্ধ চলাকালে গণহত্যা, লুটপাট, ধর্ষণে পাকিস্তানী সেনাবাহিনীকে সহাযোগিতা দান করেছিল। এই বাহিনীটিই ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর বাংলাদেশী বুদ্ধিজীবি হত্যাকাণ্ডের দায়ে অভিযুক্ত। তিনি একাধারে গণহত্যা, লুটপাট, ধর্ষণে পাকিস্তানী সেনাবাহিনীকে সহাযোগিতা দান এবং ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর বাংলাদেশী বুদ্ধিজীবি হত্যাকাণ্ডে নেতৃত্বদানের দায়ে অভিযুক্ত।",
"আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ\n১৯৭১ সালে মুজাহিদ ছিলেন পূর্ব পাকিস্তান ইসলামী ছাত্র সংঘের সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর ১৭ই অক্টোবর রংপুরে ইসলামী ছাত্র সংঘের একটি সভার আয়োজন করেন এবং সেখানে উপস্থিতদের আল-বদরে যোগদানে উদ্বুদ্ধ করেন। তিনি ছিলেন আল বদর বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড। রাজাকার এবং আল বদর বাহিনীর প্রধান কাজ ছিলো স্বাধীনতাকামী ব্যক্তিদের খুঁজে বের করে তাঁদের পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দেয়া অথবা নির্যাতনের পর হত্যা করা।",
"দ্বিতীয় আব্বাস হিলমি পাশা\nদ্বিতীয় আব্বাস ছিলেন মুহাম্মদ আলি পাশার প্র-প্র-পৌত্র। তিনি ১৮৭৪ সালের ১৪ জুলাই মিশরের আলেক্সান্দ্রিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি মিশর ও সুদানের খেদিভ হিসেবে তার বাবা তাওফিক পাশার স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন। বালক অবস্থায় তিনি যুক্তরাজ্য ভ্রমণ করেছেন। তার কয়েকজন ব্রিটিশ গৃহশিক্ষক ছিলেন এবং একজন গভর্নেসের কাছে তিনি ইংরেজি শিখেছিলেন। তার পিতা কায়রোর আবদিন প্রাসাদের নিকটে একটি বিদ্যালয় স্থাপন করেছিলেন। এখানে আব্বাস ও তার ভাই মুহাম্মদ আলি ইউরোপীয়, আরব ও তুর্কি শিক্ষকদের কাছে শিক্ষালাভ করেছেন। মিশরীয় সেনাবাহিনীর এক আমেরিকান অফিসার তাকে সামরিক প্রশিক্ষণ প্রদান করেছেন। তিনি সুইজারল্যান্ডের লুসানে বিদ্যালয়ে পড়ালেখা করেছিলেন। এরপর বারো বছর বয়সে তিনি জেনেভার হাক্সিস স্কুলে ভর্তি হন। ভিয়েনার থেরেসিয়ানামে ভর্তি প্রস্তুতি হিসেবে তিনি এখানে পড়াশোনা করেছিলেন। তুর্কি ছাড়াও তিনি ইংরেজি, ফরাসি ও জার্মান ভাষায় কথা বলতে পারতেন।"
] | 12 |
শিখধর্ম কবে প্রতিষ্ঠিত হয় ? | [
"শিখধর্ম\nশিখধর্ম (; , \"\",I (স্থানীয় নাম \"শিখী\"); সংস্কৃত ‘শিষ্য’ বা ‘শিক্ষা’ থেকে উৎপন্ন।|group=note}}) হল একটি সর্বেশ্বরবাদী ভারতীয় ধর্ম। খ্রিস্টীয় ১৫শ শতাব্দীতে ভারতীয় উপমহাদেশের পাঞ্জাব অঞ্চলে গুরু নানক এই ধর্ম প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। পরবর্তীকালে শিখ গুরুগণ কর্তৃক এই ধর্ম প্রসার লাভ করে শিখদের ১১জন মানব গুরু ছিলেন , যাদের সর্বপ্রথম হলেন গুরু নানক । শিখদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ গুরু গ্রন্থ সাহিব যা শিখ গুরুদের রচনার সংকলন । প্রথম পাঁচ জন শিখ গুরু তা সংকলন করেছিলেন। শিখধর্ম বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম ধর্মীয় গোষ্ঠী। এই ধর্মের অনুগামীর সংখ্যা প্রায় ৩ কোটি। ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যটি বিশ্বের একমাত্র শিখ সংখ্যাগুরু অঞ্চল।",
"শিখধর্ম\nসংস্কৃত ভাষায় ‘গুরু’ শব্দের অর্থ শিক্ষক, সহায়ক বা উপদেশদাতা। ১৪৬৯ থেকে ১৭০৮ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে দশ জন নির্দিষ্ট শিখ গুরু শিখধর্মের প্রথা ও দর্শন প্রতিষ্ঠা করেন। প্রত্যেক গুরু পূর্বতন শুরুর শিক্ষার সঙ্গে নতুন কথা যোগ করেন এবং সেগুলি কার্যে পরিণত করেন। এর ফলে শিখধর্মের জন্ম হয়। গুরু নানক ছিলেন শিখধর্মের প্রথম গুরু এবং তিনি তাঁর এক শিষ্যকে উত্তরাধিকারী নির্বাচিত করেছিলেন। গুরু গোবিন্দ সিং সর্বশেষ মানব গুরু। মৃত্যুর পূর্বে তিনি গুরু গ্রন্থ সাহিবকে শিখদের সর্বশেষ এবং চিরকালীন গুরু ঘোষণা করে যান।",
"বিভিন্ন ধর্ম\nশিখধর্ম একটি একেশ্বরবাদী ধর্ম। খ্রিষ্টীয় পঞ্চদশ শতাব্দীতে পাঞ্জাব অঞ্চলে এই ধর্ম প্রবর্তিত হয়। এই ধর্মের মূল ভিত্তি গুরু নানক দেব ও তাঁর উত্তরসূরি দশ জন শিখ গুরুর (পবিত্র ধর্মগ্রন্থ গুরু গ্রন্থ সাহিব এঁদের মধ্যে দশম জন বলে বিবেচিত হন) ধর্মোপদেশ। শিখধর্ম বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম ধর্মীয় গোষ্ঠী। শিখ ধর্মমত ও দর্শন \"গুরমত\" (অর্থাৎ, \"গুরুর উপদেশ\") নামেও পরিচিত। \"শিখধর্ম\" কথাটির উৎস নিহিত রয়েছে \"শিখ\" শব্দটির মধ্যে; যেটি সংস্কৃত মূলশব্দ \"শিষ্য\" বা \"শিক্ষা\" থেকে আগত।"
] | [
"মহাবোধি সোসাইটি\n১৮৯১ খ্রিস্টাব্দে কলম্বোয় প্রতিষ্ঠিত হয় মহাবোধি সোসাইটি। কিন্তু এর পরের বছরেই অর্থাৎ ১৮৯২ খ্রিস্টাব্দে সংগঠনটির মূল কার্যালয় কলম্বো থেকে স্থানান্তরিত হয় কলকাতায়। সেইসময় মহাবোধি সোসাইটির মুখ্য উদ্দেশ্যই ছিল বুদ্ধগয়ায় অবস্থিত মহাবোধি মন্দিরের পুনরুদ্ধার করা। এই কার্য সম্পাদন করার লক্ষ্যে ধর্মপাল আইনের আশ্রয় গ্রহণ করেন এবং বহু শতাব্দী ধরে মহাবোধি মন্দিরের নিয়ন্ত্রক ব্রাহ্মণ পুরোহিতগণের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। এইভাবে সুদীর্ঘ সংগ্রামের পর ১৯৪৯ খ্রিস্টাব্দে অনাগরিক ধর্মপাল তাঁর লক্ষ্যে সফল হন এবং মহাবোধি মন্দিরের নিয়ন্ত্রণাধিকার লাভ করেন।",
"শিখধর্ম\nশিখধর্মের অনুগামীদের ‘শিখ’ (অর্থাৎ, ‘শিষ্য’) বলা হয়। দেবিন্দর সিং চাহালের মতে, “‘শিখী’ শব্দটি (সাধরণভাবে গুরুমত নামে পরিচিত) থেকে আধুনিক ‘শিখধর্ম’ শব্দটি এসেছে।” ‘গুরুমত’ শব্দটির আক্ষরিক অর্থ ‘গুরুর প্রজ্ঞা’।\nসেওয়া সিং কলসি মতে, “শিখধর্মের কেন্দ্রীয় শিক্ষা হল ঈশ্বরের একত্বের তত্ত্বে বিশ্বাস।” শিখধর্ম অনুসারে, আধ্যাত্মিক জীবন ও ধর্মনিরপেক্ষ জীবনকে এক করতে হয়। প্রথম শিখ গুরু নানক সকল মানুষের একত্ব এবং ভাগ করে নেওয়ার গুরুত্ব বোঝাতে লঙ্গর প্রথার প্রবর্তন করেন। শিখরা মনে করেন, “সকল ধর্মমত সমভাবে সঠিক এবং নিজ নিজ মতাবলম্বীদের আলোকিত করতে সক্ষম।” ‘বন্দ চক্কো’ বা ভাগ করে নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গুরু নানক সকল মানুষকে সৎ পথে জীবন ধারণ করতে, কুপথ পরিহার করতে এবং ‘নাম জপন’ বা ঈশ্বরের পবিত্র নাম স্মরণের গুরুত্বের শিক্ষা দেন। গুরু নানক কেবলমাত্র ধ্যানীর জীবন অপেক্ষা “সত্য, বিশ্বাস, আত্মনিয়ন্ত্রণ ও বিশুদ্ধতায় পরিপূর্ণ সক্রিয়, সৃজনশীল ও ব্যবহারিক জীবনে”র উপর বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন। ৬ষ্ঠ শিখ গুরু হরগোবিন্দ পরস্পর-সহায়ক রাজনৈতিক/সমসাময়িক (‘মিরি’) ও আধ্যাত্মিক (‘পিরি’) জগৎ প্রতিষ্ঠা করেন।",
"শিখধর্ম\nশিখধর্মের উৎস হল গুরু নানক ও তাঁর উত্তরসূরিদের শিক্ষা। শিখ ধর্মবিশ্বাসের মূল কথাটি গুরু নানক এইভাবে জ্ঞাপন করেছেন: “সত্য অনুভবের চেয়ে বৃহত্তর কিছুই নেই। সত্যময় জীবন বৃহত্তর মাত্র।” শিখ শিক্ষায় সকল মানুষের সমত্ব এবং জাতি, কর্ম বা লিঙ্গের ভিত্তিতে কোনো রকম বৈষম্যের বিরোধিতায় গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। শিখধর্মে গৃহস্থ জীবন যাপনে উৎসাহ দেওয়া হয়।",
"শিখধর্ম\nগুরু অমর দাসের উত্তরসূরি ও জামাতা গুরু রাম দাস অমৃতসর শহরটি স্থাপন করেন। এই শহরেই হরমন্দির সাহিব অবস্থিত এবং এটি শিখদের কাছে পবিত্রতম শহর হিসেবে পরিচিত। গুরু অর্জন শিখদের সংগঠিত করতে শুরু করলে মুঘল কর্তৃপক্ষ তাঁকে বন্দী করে। মুঘল বাহিনী অত্যাচার করে গুরু অর্জনকে হত্যা করলে, তাঁর উত্তরসূরিরা শিখ সম্প্রদায়ে একটি সামরিক ও রাজনৈতিক সংগঠন গড়ে তুলে মুঘল বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে অবতীর্ণ হন।\nশিখ গুরুরা শিখধর্মে এমন এক ব্যবস্থা গড়ে তুলেছিলেন যাতে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে শিখ সম্প্রদায় প্রতিক্রিয়া জানাতে সক্ষম হয়। ষষ্ঠ শিখ গুরু গুরু হরগোবিন্দ অকাল তখত (\"সময়াতীত ঈশ্বরের সিংহাসন\") ধারণার জন্ম দেন। হরমন্দির সাহিবের উল্টোদিকে অবস্থিত এই অকাল তখত হল শিখধর্মের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারক সংস্থা। \"সরবত খালসা\" বা খালসা পন্থের একটি প্রতিনিধিসভা বৈশাখী বা হোলা মোহাল্লা উপলক্ষে অকাল তখতে ঐতিহাসিকভাবে সমবেত হন এবং সমগ্র শিখ জাতিকে প্রভাবিত করছে এমন কোনো বিষয় নিয়ে আলোচনার প্রয়োজন হয়, তখন সেই সম্পর্কে উপযুক্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। \"গুরমতা\" (অর্থাৎ, ‘গুরুর ইচ্ছা’) হল সরবত খালসার আদেশনামা। এটি গুরু গ্রন্থ সাহিবের উপস্থিতিতে দেওয়া হয়। শিখধর্মের মৌলিক নীতিগুলিকে স্পর্শ করছে, এমন বিষয়েই গুরমতা আদেশনামা দেওয়া যায় এবং এটি সকল শিখ জাতির উপর প্রযোজ্য হয়। গুরমতাকে অনেক সময় \"হুকুমনামা\"ও বলা হয়। যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে হুকুমনামা বলতে গুরু গ্রন্থ সাহিবের একটি স্তোত্রকে বোঝায়। উক্ত স্তোত্রটি শিখ জাতির প্রতি একটি আদেশ।",
"শিখধর্ম\nশিখধর্ম একটি সর্বেশ্বরবাদী (কোনো কোনো দিক থেকে) এবং প্রকাশিত ধর্ম। শিখধর্মে ‘ঈশ্বর’ ধারণা হল “ওয়াহিগুরু” – যা নিরাকার, অনন্ত ও দৃষ্টির অগম্য (অর্থাৎ, যা চর্মচক্ষে দেখা যায় না): ‘নিরঙ্কর’, ‘অকাল’ ও ‘অলখ’। শিখ ধর্মশাস্ত্রের শুরুর অক্ষরটি হল ‘১’ – যা ‘ঈশ্বরে’র বিশ্বজনীনতার প্রতীক। শিখ শাস্ত্রমতে, ‘ঈশ্বর’ হলেন সর্বব্যাপী ও সর্বশক্তিমান। তাঁকে ‘ইক ওঙ্কার’ শব্দের দ্বারা চিহ্নিত করা হয়। শিখরা বিশ্বাস করেন, সৃষ্টির পূর্বের শুধুমাত্র ‘ঈশ্বর’ই ছিলেন এবং তাঁর ‘হুকুমে’ (ইচ্ছা বা আদেশ) ছিল। ঈশ্বরের যখন ইচ্ছা হল তখন সমস্ত মহাবিশ্ব সৃষ্টি হল। শুরু থেকেই ঈশ্বর মায়া বা মানুষের সত্যতার ধারণা প্রতি ‘আকর্ষণ বা আসক্তি’ নিয়ে নাড়াচাড়া করছেন।",
"সাঁত্রাগাছি কেদারনাথ ইন্সটিটিউশন\n১ম জানুয়ারিরিখে স্থানীয় জনতা কেদারনাথ ব্যানার্জী দ্বারা সাঁত্রাগাছি কেদারনাথ ইনস্টিটিউশন প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৭ই জুলাই, ১৯২৫ তারিখে আশুতোষ কলেজের ভাইস চ্যান্সেলর এবং অধ্যাপক শ্রী আশুতোষ মুখার্জী কর্তৃক ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করা হয়। এটি ৬টি ঘরে ২২৫ জন শিক্ষার্থীর সাথে শুরু হয়। ১৯২৬সালের ২ জানুয়ারি কলকাতা বিশ্ব বিদ্যালযে়র অস্থায়ী অনুমতির সাথে নবম শ্রেণির শ্রেণি শুরু হয় এবং ১৯২৭ সালে দশম শ্রেণী সম্পন্ন হওয়ার পর স্কুল ছাত্রদের প্রথমবারের মতো বোর্ড পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। ১৯৩৩ সালে, সাঁত্রাগাছি কেদারনাথ ইনস্টিটিউশন তার স্থায়ী অধিভুক্তি লাভ করে।",
"শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়\n১৯৯৯ সালে শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ফিশারিজ কলেজটি প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০০০-২০০১ শিক্ষাবর্ষে এটি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্ভুক্ত হয়। বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম কলেজটিকে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত করার জন্য আবেদন করেন। ৩০ জানুয়ারী ২০১৭ তারিখে নিয়মিত মন্ত্রীসভায় জামালপুর জেলায় বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয স্থাপনের নীতি পাশ হয়, যেটির সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।একই দিনে নেত্রকোনায় আরেকটি নতুন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ও প্রতিষ্ঠার জন্য অনুমোদন দেয়া হয়। এরপর ২০ নভেম্বর ২০১৮, মহান জাতীয় সংসদে \"বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বিল, ২০১৭\" সর্বসম্মতিক্রমে ও কন্ঠভোটে পাশ করা হয়। নভেম্বর ২, ২০১৮ তারিখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।"
] | 36 |
গণিতে ক্যালকুলাসের জনক কে ? | [
"ক্যালকুলাস\nক্যালকুলাস বা কলনবিদ্যা () গণিতের একটি শাখা যেখানে সীমা, অন্তরকলন, সমাকলন ও অসীম শ্রেণী নিয়ে আলোচনা করা হয়। ক্যালকুলাস শব্দটি লাতিন ভাষা থেকে এসেছে এবং এর অর্থ \"নুড়িপাথর\"। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে অনেক ক্ষেত্রেই ক্যালকুলাস একটি বাধ্যতামূলক বিষয়। মূলত নিউটন ও গটফ্রেড লিবনিজকে এই বিদ্যার জনক বলা হয়।"
] | [
"গণিত\n১৭শ শতক পর্যন্তও কেবল পাটীগণিত, বীজগণিত ও জ্যামিতিকে গাণিতিক শাস্ত্র হিসেবে গণ্য করা হত। সেসময় গণিত দর্শন ও বিজ্ঞানের চেয়ে কোন পৃথক শাস্ত্র ছিল না। আধুনিক যুগে এসে গণিত বলতে যা বোঝায়, তার গোড়াপত্তন করেন প্রাচীন গ্রিকেরা, পরে মুসলমান পণ্ডিতেরা এগুলি সংরক্ষণ করেন, অনেক গবেষনা করেন এবং খ্রিস্টান পুরোহিতেরা মধ্যযুগে এগুলি ধরে রাখেন। তবে এর সমান্তরালে ভারতে এবং চীন-জাপানেও প্রাচীন যুগ ও মধ্যযুগে স্বতন্ত্রভাবে উচ্চমানের গণিতচর্চা করা হত। ভারতীয় গণিত প্রাথমিক ইসলামী গণিতের উপর গভীর প্রভাব ফেলেছিল। ১৭শ শতকে এসে আইজাক নিউটন ও গটফ্রিড লাইবনিৎসের ক্যালকুলাস উদ্ভাবন এবং ১৮শ শতকে অগুস্তঁ লুই কোশি ও তাঁর সমসাময়িক গণিতবিদদের উদ্ভাবিত কঠোর গাণিতিক বিশ্লেষণ পদ্ধতিগুলির উদ্ভাবন গণিতকে একটি একক, স্বকীয় শাস্ত্রে পরিণত করে। তবে ১৯শ শতক পর্যন্তও কেবল পদার্থবিজ্ঞানী, রসায়নবিদ ও প্রকৌশলীরাই গণিত ব্যবহার করতেন। \n১৯শ শতকের শুরুতে তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানের যে আধুনিক ধারা সূচিত হয়, সে-সংক্রান্ত গবেষণাগুলির ফলাফল প্রকাশের জন্য জটিল গাণিতিক মডেল উদ্ভাবন করা হয়। বিশুদ্ধ গণিতের বিভিন্ন ক্ষেত্রে গবেষণায় জোয়ার আসে। অন্যদিকে ২০শ শতকের মাঝামাঝি সময়ে কম্পিউটারের আবিষ্কার এ-সংক্রান্ত সাংখ্যিক পদ্ধতিগুলির গবেষণা বৃদ্ধি করে।",
"আর্থার কেলি\nআর্থার কেলি () (১৬ই আগস্ট, ১৮২১—২৬শে জানুয়ারি, ১৮৯৫) একজন ব্রিটিশ গণিতবিদ। তিনি বিপরীত ম্যাট্রিক্সের ধারণাসহ ম্যাট্রিক্সের তাৎপর্য তুলে ধরেন এবং এটা তিনি ১৮৫৩ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশ করেন। পরবর্তীতে তিনি ১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দে তাঁর পত্রিকা “Memoir on the theory of Matrices” এ প্রথমে বিশ্লেষণমূলকভাবে ম্যাট্রিক্সকে প্রকাশ করেন। এ কারণে তাকে ম্যাট্রিক্স এর ”জনক” বলা হয়। বিখ্যাত পদার্থবিজ্ঞানী হাইজেনবার্গ ১৯২৫ খ্রিস্টাব্দে কোয়ান্টাম বলবিদ্যায় ম্যাট্রিক্সের প্রথম ব্যবহার শুরু করেন। গণিতে সমীকরণ জোটের সমাধান , পরিসংখ্যানের সম্ভাবনা তত্ত্বে , উচ্চতর অর্থনীতিতে, ব্যবসায় গণিতে আয়-ব্যয় হিসাব বিনিয়োগ করতে হবে তা বিপরীত ম্যাট্রিক্সের সাহায্যে সহজে নির্ণয় করা যায়।",
"গ্যালিলিও গ্যালিলেই\nগ্যালিলিও গ্যালিলি (; জন্ম: ১৫ ফেব্রুয়ারি, ১৫৬৪ - মৃত্যু: ৮ জানুয়ারি, ১৬৪২) একজন ইতালীয় পদার্থবিজ্ঞানী, জ্যোতির্বিজ্ঞানী, গণিতজ্ঞ এবং দার্শনিক যিনি বৈজ্ঞানিক বিপ্লবের সাথে বেশ নিগূঢ়ভাবে সম্পৃক্ত। তাঁর সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য অবদানের মধ্যে রয়েছে দূরবীক্ষণ যন্ত্রের উন্নতি সাধন যা জ্যোতির্বিজ্ঞানের অগ্রগতিতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে, বিভিন্ন ধরণের অনেক জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক পর্যবেক্ষণ, নিউটনের গতির প্রথম এবং দ্বিতীয় সূত্র, এবং কোপারনিকাসের মতবাদের পক্ষে একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ। বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিংয়ের মতে আধুনিক যুগে প্রাকৃতিক বিজ্ঞানের এতো বিশাল অগ্রগতির পেছনে গ্যালিলিওর চেয়ে বেশি অবদান আর কেউ রাখতে পারেনি। তাকে আধুনিক জ্যোতির্বিজ্ঞানের জনক, আধুনিক পদার্থবিজ্ঞানের জনক এবং এমনকি আধুনিক বিজ্ঞানের জনক হিসেবেও আখ্যায়িত করা হয়ে থাকে। এরিস্টটলীয় ধারণার অবসানে গ্যালিলিওর আবিষ্কারগুলোই সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে।",
"কার্ল লিনিয়াস\nকার্ল লিনিয়াস (সুয়েডীয় ভাষায়: Carl Linnaeus; লাতিন ভাষায়: Carolus Linnaeus, \"ক্যারোলাস লিনিয়াস\") (২৩শে মে \"পুরাতন নিয়মে ১৩ই মে\", ১৭০৭ - ১০ই জানুয়ারি, ১৭৭৮) প্রখ্যাত সুয়েডীয় উদ্ভিদবিজ্ঞানী, চিকিৎসক ও প্রাণীবিজ্ঞানী যিনি আধুনিক দ্বিপদী নামকরণের ভিত্তি স্থাপন করে গিয়েছিলেন। তাকে আধুনিক শ্রেণীবিন্যাসবিদ্যার জনক বলা হয়। এছাড়া তিনি আধুনিক বাস্তুবিজ্ঞানের জনকদের মধ্যে অন্যতম।",
"অ্যালেক্সিস কারেল\nঅ্যালেক্সিস কারেল ( ফরাসি :alɛksi kaʁɛl; জুন ২৮, ১৮৭৩ - ৫ নভেম্বর, ১৯৪৪ খ্রিষ্টাব্দ) ছিলেন একজন খ্যাতনামা ফরাসি চিকিৎসাবিদ। ফ্রান্সের লিঁঅ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করেছিলেন। ১৯০০ খ্রিস্টাব্দে চিকিৎসাবিদ্যায় উপাধি লাভ করার পর তিনি প্রথমে ফ্রান্সের 'ফাক্যুলতে দ্য মেদসিন' ও পরে আমেরিকার শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ে শরীরতত্ত্ববিদ্যা নিয়ে গবেষণা করেন । পরবর্তী কালে নিউইয়র্কের রকফেলার ইনস্টিটিড ফর মেডিক্যাল রিসার্চের সদস্য মনোনীত হন। রক্তবাহ সংক্রান্ত গবেষণায় উল্লেখযোগ্য কৃতিত্বের জন্য ১৯১২ খ্রিষ্টাব্দে তাঁকে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়। ১৯২৪ ও ১৯২৭ সালে তিনি দু-বার 'আকাদেমি অফ সায়েন্সেস অফ দি ইউ.এস.এস.আর'- এর সাম্মানিক সদস্য নির্বাচিত হন। টিসু কালচার অর্থাৎ দেহকলার সংরক্ষণ ও বৃদ্ধি বিষয়ক তাঁর গবেষণা স্মরণীয় হয়ে থাকবে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় আঘাতপ্রাপ্ত সৈনিকদের ক্ষতের চিকিৎসার জন্য তিনি এক নতুন ধরনের চিকিৎসা পদ্ধতির উদ্ভাবন করেন। ১৯৩৫ সালে তিনি 'ম্যান দি আননোন' নামে একটি যুগান্তকারী গ্রন্থ রচনা করেন।",
"আইজাক নিউটন\nবর্তমানকালের গণিতজ্ঞ ও ইতিহাসবিদদের মতে নিউটন এবং লাইবনিজ প্রায় একই সাথে গণিতের একটি নতুন শাখার উন্নয়ন ঘটিয়েছিলেন যা ক্যালকুলাস নামে পরিচিতি লাভ করে। এটি গণিত এবং পদার্থবিজ্ঞানের ইতিহাসে একটি বিপ্লবের জন্ম দিতে সক্ষম হয়েছিল। অবশ্য ক্যালকুলাসের প্রকৃত উদ্ভাবক কে তা নিয়ে অনেক সংশয় ও বিরোধ রয়েছে। বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং তার আ ব্রিফ হিস্টরি অফ টাইম গ্রন্থে নিউটনকে ধুরন্ধর ও মিথ্যাবাদী হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। এই বিষয়টি নিয়ে একটি প্রবল বিতর্কের জন্ম হয়েছিল যা নিউটন বনাম লাইবনিজ ক্যালকুলাস বিতর্ক নামে বহুল পরিচিত। এ নিয়ে সমালোচনা অণুচ্ছেদে বিস্তারিত লেখা হয়েছে।",
"ইয়োহানেস কেপলার\nজোহানেস কেপলার () (২৭শে ডিসেম্বর, ১৫৭১ – ১৫ই নভেম্বর, ১৬৩০) একজন জার্মান গণিতবিদ, জ্যোতির্বিজ্ঞানী ও জ্যোতিষী। তিনি ১৭শ শতকের জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক বিপ্লবের অন্যতম প্রধান ব্যক্তিত্ব, বিখ্যাত হয়ে আছেন কেপলারের গ্রহীয় গতিসূত্রের কারণে। পরবর্তীকালের জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা তাঁর লেখা \"আস্ত্রোনমিয়া নোভা\", \"হারমোনিকেস মুন্দি\" এবং \"এপিতোমে আস্ত্রোনমিয়াই কোপেরনিকানাই\" বইগুলির মধ্যে লেখা নীতিগুলিকেই তাঁর সূত্র হিসাবে নামকরণ করেছেন। কেপলারের আগে গ্রহের গতিপথ জ্যোতিষ্কসমূহের খ-গোলক অণুসরণ করে নির্ণয় করা হত। কেপলারের পরে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা বুঝতে পারেন গ্রহগুলো উপবৃত্তাকার কক্ষপথ অণুসরণ করে। কেপলারের গ্রহীয় সূত্রগুলো আইজাক নিউটনের বিশ্বজনীন মহাকর্ষ তত্ত্বের ভিত্তি হিসেবে কাজ করেছিল।",
"মাইকেল ডব্লিও ক্যারল\nমাইকেল ডব্লিও ক্যারল একজন মার্কিন আইনের অধ্যাপক এবং আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়াশিংটন কলেজ অব ল-এর ইনফরমেশন জাস্টিস অ্যান্ড ইন্টেলেকচুয়াল প্রোপ্রার্টি প্রোগ্রামের পরিচালক। ক্যারল ক্রিয়েটিভ কমন্সর প্রতিষ্ঠাতা বোর্ড সদস্যদের একজন, যেটি একটি অলাভজনক সংস্থা যারা উপলব্ধ সৃজনশীল কাজের পরিসর বিস্তৃত করতে তা আইনগতভাবে বৈধ পদ্ধতিতে শেয়ারের জন্য এবং উন্মুক্ত ব্যবহারের জন্য লাইসেন্সকরণ কাজে নিয়োজিত। এছাড়া তিনি বিজ্ঞান গণগ্রন্থাগার পরিচালনা পর্ষদের সদস্য এবং ২০০৮ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত রিসার্চ ডাটা অ্যান্ড ইনফরমেশনের জাতীয় বিজ্ঞান অ্যাকাডেমি বোর্ডের হয়েও কাজ করেছেন।",
"ক্যামিলো গলজি\nক্যামিলো গলজি (; জুলাই ৭, ১৮৪৩ – জানুয়ারি ২১, ১৯২৬) ছিলেন একজন ইতালীয় চিকিৎসক, জীববিজ্ঞানী, প্যাথোলজিস্ট, বিজ্ঞানী এবং নোবেল জয়ী ব্যক্তিত্ব। অ্যানাটমির ও শরীরতত্ত্বের বেশকিছু কাঠামো এবং ঘটনা এছাড়াও \"গলগি যন্ত্রপাতি\", \"গলগি কণ্ডরা অঙ্গ\" এবং \"গলগি কণ্ডরা প্রতিবিম্ব\" সমুহ তার নামানুসারে নামকরণ করা হয়েছে। তিনি তার সময়ের শ্রেষ্ঠ স্নায়ুবিজ্ঞানী ও জীববিজ্ঞানী হিসাবে স্বীকৃত হয়।",
"কার্ল ফ্রিডরিশ গাউস\nইয়োহান কার্ল ফ্রিডরিশ গাউস (: \"ইয়োহান্ কাল্ ফ্রিড্রিশ্ গাউস্\"; জার্মান ভাষায়: Johann Carl Friedrich Gauß) (৩০শে এপ্রিল, ১৭৭৭ - ২৩শে ফেব্রুয়ারি, ১৮৫৫) একজন প্রতিভাবান জার্মান গণিতবিদ এবং বিজ্ঞানী। গণিত এবং বিজ্ঞানের প্রায় সকল বিভাগে তাঁর অবদান আছে। তাকে \"গণিতের যুবরাজ\" ও \"সর্বকালের সেরা গণিতবিদ\" বলা হয়। গণিতের যে সব বিষয়ে তার অবদান আছে সেগুলোর মধ্যে আছে সংখ্যা তত্ত্ব, গাণিতিক বিশ্লেষণ, অন্তরক জ্যামিতি, চুম্বকের ধর্ম, আলোকবিজ্ঞান, জ্যোতির্বিজ্ঞান, ইত্যাদি। গণিত এবং বিজ্ঞানের বহু শাখায় তার প্রশংসাযোগ্য প্রভাব ছিল, যে কারণে তাঁকে ইতিহাসের অন্যতম প্রভাবশালী গণিতবিদদের একজন হিসেবে বিবেচনা করা হয়।"
] | 50 |
রয়্যাল ব্যাঙ্গল বাঘ কোন অঞ্চলে বেশি দেখা যায় ? | [
"বেঙ্গল টাইগার\nভারত ও বাংলাদেশের সুন্দরবন এলাকায় যে সুদর্শন বাঘ দেখা যায় তা পৃথিবীব্যাপী রয়েল বেঙ্গল টাইগার () নামে পরিচিত। কয়েক দশক আগেও (পরিপ্রেক্ষিত ২০১০), বাংলাদেশের প্রায় সব অঞ্চলে রয়েল বেঙ্গল টাইগারের বিচরণ ছিল। পঞ্চাশের দশকেও বর্তমান মধুপুর এবং ঢাকার গাজীপুর এলাকায় এই বাঘ দেখা যেতো; মধুপুরে সর্বশেষ দেখা গেছে ১৯৬২ এবং গাজীপুরে ১৯৬৬ খ্রিষ্টাব্দে। বর্তমানে সারা পৃথিবীতে ৩০০০-এর মতো আছে, তন্মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি ভারতীয় উপমহাদেশে। এই সংখ্যা হিসাব করা হয় বাঘের জীবিত দুটি উপপ্রজাতি বা সাবস্পিসীজের সংখ্যাসহ। ২০০৪ সালের বাঘ শুমারী অনুযায়ী বাংলাদেশে প্রায় ৪৫০টি রয়েল বেঙ্গল টাইগার রয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞদের ধারণা এর সংখ্যা ২০০-২৫০টির মতো। বাংলাদেশ ছাড়াও এদের বিচরণ রয়েছে ভারতের সুন্দরবন অংশে, নেপাল ও ভুটানে।",
"বেঙ্গল টাইগার\nবেঙ্গল টাইগার বা রয়েল বেঙ্গল টাইগার (\"Panthera tigris tigris\" বা \"Panthera tigris bengalensis\"), বাঘের একটি বিশেষ উপপ্রজাতি। বেঙ্গল টাইগার সাধারণত দেখা যায় ভারত ও বাংলাদেশে। এছাড়াও নেপাল, ভুটান, মায়ানমার ও দক্ষিণ তিব্বতের কোন কোন অঞ্চলে এই প্রজাতির বাঘ দেখতে পাওয়া যায়। বাঘের উপপ্রজাতিগুলির মধ্যে বেঙ্গল টাইগারের সংখ্যাই সর্বাধিক। ভারত সরকারের জাতীয় ব্যাঘ্র সংরক্ষণ কর্তৃপক্ষের হিসেব অনুসারে ভারতে বেঙ্গল টাইগারের বর্তমান সংখ্যা ১,৪১১।",
"বাঘ\nপশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের সুন্দরবন এলাকায় যে সুদর্শন বাঘ দেখা যায় তা দুনিয়াব্যাপী রয়েল বেঙ্গল টাইগার (en: Royal Bengal Tiger) বা বাংলা বাঘ নামে পরিচিত। ২০০৪ খ্রিস্টাব্দে বাংলাদেশের বন বিভাগ কর্তৃক পরিচালিত বাঘশুমারী অনুযায়ী সুন্দরবনে ৩৮৫টি রয়েল বেঙ্গল টাইগার আছে। ভারতের সুন্দরবন ও অন্যত্র, নেপাল এবং ভুটানের বন-জঙ্গলেও এই উপপ্রজাতির বাঘ সচরাচর দেখা যায়। \n২০১৫ সালের ২৯ শে জুলাই বিশ্ব বাঘ দিবসের এক রিপোর্ট অনুযায়ী বাংলাদেশ এর সুন্দরবন অংশে বাঘ আছে মাত্র ১০৬ টি।",
"সাদা বাঘ\nসাদা বাঘ হল একধরণের বেঙ্গল টাইগার যার শরীরের বর্ণ সাদা। এই ধরণের বাঘ ভারতের আসাম, বিহার এবং অন্যান্য কিছু রাজ্যে মাঝেমধ্যে দেখা যায়। \nসাদা বাঘ বা ধোলাই বাঘ বাংলার বাঘের একটি রঙ্গক রূপ। এটি সুন্দরবন অঞ্চলের মধ্য প্রদেশ, আসাম, পশ্চিমবঙ্গ এবং বিহারের সময়কালে বিশেষ করে বন্যায় সুন্দরবন অঞ্চলে এবং বিশেষ করে পূর্ব রাজ্য রেওয়াতে দেখা জেত। [1] এ ধরনের বাঘের মধ্যে রয়েছে বাঙালি বাঘের মত কালো দাগ, তবে দু একটি সাদা বাঘ কাছাকাছি এমন কোট বহন করে।"
] | [
"বাঘ\nসাদা বাঘ বাঘদের মিউট্যান্ট এর মধ্যে বিশেষ পরিচিত। পৃথিবীর বিভিন্ন চিড়িয়াখানাতে এই বাঘ আছে। বাংলা বাঘও সাইবেরিয়ার বাঘ উপ প্রজাতীর মধ্যে এই বাঘের বর্ণসংকরের কথা জানা যায়। তবে অধিকাংশ বিজ্ঞানীরা মত দিয়েছেন,সাদা বাঘ মূলত রয়েল বেঙ্গল টাইগার এরই মিউট্যান্ট। \nঢেঙ্কানলের বন থেকে প্রথম এই বাঘ ধরা হয় বলে জানা গেছে। কিছু কিছু সাদা বাঘ ডোরাহীন হয়। এখন এই বাঘ বনে দেখা যায় না।\nমনে করা হোত দাবানলের ফলে বাঘের গায়ের রং কালো হয়ে যায়। কিছুদিন আগে উড়িষ্যার সিম্লিপাল বনে এই বাঘের দেখা পাওয়ার কথা জানা গেছে।\nসোনালী বাঘএর সংখ্যা ৩০-এরও কম। বাংলা বাঘ ও সাইবেরিয় বাঘের মধ্যেও এই পরিব্যক্তির কথা জান গেছে। সোনালী বাঘ golden tabby বা Strawberry Tiger নামেও পরিচিত। \nবিংশ শতকের শুরুর দিকে এই বাঘ বনে পাওয়া যেতো বলে জানা যায়। শেষ বন্য সোনালি বাঘকে মহীশুরের বনে শিকার করা হয়েছিলো। এই বাঘগুলি ডোরাহীন বা প্রায় ডোরাহীন হয়। বিশেষত পেটের দিকে ডোরা থাকেই না। \"ভীম\" নামে এক পোষা বাঘকে পালিত সোনালি বাঘের পুর্বপুরুষ মনে করা হয়।",
"বেঙ্গল টাইগার\nকোন বৈজ্ঞানিক নিবন্ধে সুন্দরবনের বাঘগুলোর নির্ভরযোগ্য ওজন পাওয়া যায় নি। বন বিভাগ যদিও ওজনের রেকর্ড রাখে তবুও তা অনেকটাই অনুমান নির্ভর এবং নির্ভরযোগ্য নয়। দৈর্ঘ্য নিয়ে যে রিপোর্ট পাওয়া যায় তাতে দেখা যায় দৈর্ঘ্য প্রায় বেশি। অতি সম্প্রতি আমেরিকান মৎস্য ও বন্যপ্রানী সেবা'র পক্ষে মিনেসোটা বিশ্ববিদ্যালয় গবেষক এবং বাংলাদেশ বন বিভাগ একটি গবেষনা চালায় এবং তারা সুন্দরবনের তিনটি বাঘের ওজন মাপেন। দুটো ধরা হয় এবং রেডিও কলারের জন্য ঘুমের ঔষধ প্রয়োগ করা হয় এবং অন্যটি স্থানীয় লোকের হাতে নিহত হয়। কলার পরানো দুটো স্ত্রী বাঘের ওজন পরিমাপক দিয়ে নেয়া হয়, মেরে ফেলা বাঘের ওজন নেয়া হয় সাধারণ দাড়িপাল্লা ব্যবহার করে। তিনটি বাঘের গড় ওজন ছিল । বড় স্ত্রী বাঘটির ওজন হয় যা গড়ের চেয়ে কম কারণ সেটি বয়স্ক আর খারাপ অবস্থায় ধরা হয়। দুটো বাঘের দাতের গণনা থেকে বোঝা যায় তারা ১২-১৪ বছর বয়স্ক ছিল। অন্য বাঘটি ছিল ৩-৪ বছরের ছোট বাঘ এবং সেটি ছিল আবাসস্থল পরিবর্তনকারী বাঘ। সুন্দর বনের বাঘগুলোর কঙ্কাল এবং শরীরের ওজন অন্য বাঘের চেয়ে আলাদা। যা নির্দেশ করে তারা ম্যানগ্রোভের পরিবেশের সাথে অভিযোজিত হয়েছে। তাদের শরীরের আকার ও ওজন ছোট হওয়ার কারণ সম্ভবত জায়গা নিয়ে প্রতিযোগীতা এবং কম শিকারের উপস্থিতি।",
"উত্তরাখণ্ড\nপার্বত্য অঞ্চলে প্রচুর চিতাবাঘ দেখা যায়। তবে নিম্নভূমির জঙ্গলেও চিতাবাঘ চোখে পড়ে। অন্যান্য বিড়ালজাতীয় প্রাণীর মধ্যে আছে বন বিড়াল, মেছোবাঘ ও চিতা বিড়াল। অন্যান্য স্তন্যপায়ী প্রাণীদের মধ্যে আছে বিভিন্ন ধরনের হরিণ (মায়া হরিণ, সম্বর হরিণ, প্যারা হরিণ ও চিত্রা হরিণ), শ্লথ ও এশীয় কালো ভাল্লুক, নেউল, ভোঁদড়, হলুদগলা মার্টিন, ভরাল, দেশি বনরুই, হনুমান ও লাল বানর। গ্রীষ্মকালে হাজারে হাজারে হাতি দেখতে পাওয়া যায়। স্বাদুপানির কুমির, ঘড়িয়াল অন্যান্য সরীসৃপদের এই অঞ্চলে দেখা যায়। স্থানীয় কুমিরদের বিলুপ্তির হাত থেকে বাঁচাতে বন্দী করে প্রজনন ঘটিয়ে আবার রামগঙ্গা নদীতে ছেড়ে দেওয়া হয়। বিভিন্ন ধরনের মিষ্টি জলের নদীকচ্ছপ ও সাধারণ কচ্ছপ (যেমন দেশি কড়ি কাইট্টা, মুকুটি নদ-কাছিম ও গঙ্গা তরুণাস্থি কাছিম) এবং বিভিন্ন ধরনের প্রজাপতি ও পাখি (যেমন চান্দা, ডোরাকাটা বাঘ প্রজাপতি, সাতভাই ছাতারে, বড় মেটেকুড়ালি, তোতা (লালবুক টিয়া), কমলা-বুক হরিয়াল ও খয়েরি-ডানা পাপিয়া) দেখা যায়। ২০১১ সালে জিম করবেট ন্যাশনাল পার্কে দুলর্ভ অতিথি পাখি শুঁটি রাজহাঁস দেখা গিয়েছে।",
"বাঁশকুনি\nনিচু উচ্চতাযুক্ত অঞ্চলে বাঁশকুনি প্রজাতিকে বেশি দেখা যায়। এদের উড়ান দ্রুত ও অনিয়মিত। এরা কখনো বেশি সময় ধরে ওড়েনা। ফুল ও পচা ফলে বসে এদের মধু ও রস পান করতে দেখা যায়। নিচু ঝোপঝাড় , গাছের ডাল এবং গুঁড়িতে এবং পাহাড়ের দেওয়ালে এরা বসে প্রধানতঃ ডানা বন্ধ অবস্থায়। পাহাড়ের পাদদেশ থেকে ২০০০ মি. উচ্চতা পর্যন্ত পথের ধারে ও জঙ্গলের কিনারে এদের দর্শন মেলে। ফেব্রুয়ারী থেকে নভেম্বর পর্যন্ত এদের গতিবিধি লক্ষ্য করা যায়। পুরুষরা আঞ্চলিক বা স্থানিক (territorial) ও কলহপ্রবন। এই প্রজাতি ঘাসে ডিম পারে। সমতলভূমিতে ঝোপঝাড় ও বাঁশবাগানে এদের দেখা মেলে।",
"ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল\nব্ল্যাক বেঙ্গল হল ছাগলের একটি জাত যা বাংলাদেশ, পশ্চিমবঙ্গ, বিহার এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের ওড়িশা অঞ্চলে পাওয়া যায়। এই ছাগলের দেহের বর্ণ মূলত কালো, তবে বাদামী, ধুসর ও সাদা রঙের ছাগলও দেখা যায়। ব্ল্যাক বেঙ্গল আকারে ছোট কিন্তু দেহের কাঠামো আঁট এবং পশম খাটো ও নরম। এ জাতের ছাগলের শিং ছোট ও পা খাটো। এদের পিঠ সমতল। কানের আকার ১১-১৪ সেমি এবং সামনের দিকে সুচালো। একটি পূর্ণ বয়স্ক পুরুষ ছাগলের ওজন হয় ২৫ থেকে ৩০ কেজি, মাদী ছাগলের ২০ থেকে ২৫ কেজি। পূর্ণবয়স্ক ছাগলের উচ্চতা ৫০ সেমি হয়ে থাকে। উভয় লিঙ্গের ছাগলেই দাঁড়ি দেখা যায়। দুধ উৎপাদন ক্ষমতা কম হলেও কম পরিমাণের খাদ্য চাহিদা এবং বেশি পরিমাণে বাচ্চা উৎপাদনের কারণে বাংলাদেশে ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগলের বেশ চাহিদা রয়েছে।",
"বীরভূম জেলা\nবুনো কুকুর ও গৃহপালিত পশু ছাড়া যে স্তন্যপায়ীর দেখা সবচেয়ে বেশি মেলে সেটি হল হনুমান। চিনপাই, বান্দারসোল ও চারিচার বনাঞ্চলে বুনো শুয়োর ও নেকড়ের দেখাও মেলে। তবে এই অঞ্চলে আর কোথাও চিতাবাঘ বা ভাল্লুকের দেখা মেলে না। মহুয়া গাছে ফুল ফোটার মরশুমে ঝাড়খণ্ড থেকে হাতির পাল নেমে এসে শস্য নষ্ট করে এবং জীবন ও সম্পত্তিহানির কারণ হয়। বীরভূমে পার্বত্য ও সমতলীয় উভয়প্রকার পাখিই দেখা যায়: তিতির, পায়রা, সবুজ পায়রা, জলকুক্কুট, দোয়েল, ফিঙে, বাজ, কোকিল, তোতা ইত্যাদি এবং নানা পরিযায়ী পাখি দেখা যায়।"
] | 43 |
নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু কোন শহরে জন্মগ্রহণ করেন ? | [
"সুভাষচন্দ্র বসু\n১৮৯৭ খ্রিস্টাব্দের ২৩ জানুয়ারি, বর্তমান ওডিশা রাজ্যের কটক শহরে (ওডিয়া বাজার) জন্মগ্রহণ করেন সুভাষচন্দ্র বসু। তিনি ছিলেন কটক-প্রবাসী বিশিষ্ট বাঙালি আইনজীবী জানকীনাথ বসু ও প্রভাবতী দেবীর চৌদ্দ সন্তানের মধ্যে নবম। ষষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত সুভাষচন্দ্র একটি কটকের ইংরেজি স্কুলে পড়াশোনা করেন; বর্তমানে এই স্কুলটির নাম স্টুয়ার্ট স্কুল। এরপর তাঁকে ভর্তি করা হয় কটকের রাভেনশ কলেজিয়েট স্কুলে। সুভাষচন্দ্র ছিলেন মেধাবী ছাত্র। ১৯১১ খ্রিস্টাব্দে ম্যাট্রিকুলেশন পরীক্ষায় কলকাতা থেকে প্রথম স্থান অধিকার করেন তিনি। ১৯১৮ খ্রিস্টাব্দে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত স্কটিশ চার্চ কলেজ থেকে দর্শনে সাম্মানিকসহ বিএ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।"
] | [
"সুভাষ চন্দ্র বসুর মৃত্যু\n\"গল্পগুলো চালু ছিল যে: নেতাজি অসম রাজ্যের নাগা পাহাড় অঞ্চলে একজন সন্ন্যাসী হয়েছেন; পিকিং শহরে তিনি একজন মঙ্গোলীয় বাণিজ্য প্রতিনধি হয়েছেন; তিনি রাশিয়ায় বাস করেন; তিনি চিনা সেনাবাহিনীতে আছেন। ... নেতাজি এখনো জীবিত আছেন এরকম ছবি হাজির করা হয়েছিল। সুভাষ চন্দ্রের পরিবার এক সময় ঘোষণা করেন যে, তিনি অন্তরীণ আছেন এবং যথা সময়ে ভারতে ফিরে আসবেন। ১৯৬৬ খ্রিস্টাব্দে সুরেশ চন্দ্র বসু সাংবাদিকদের কাছে ঘোষণা করেন যে, তাঁর ভাই মার্চে ফিরে আসবেন। এপর্যন্ত যাই ঘটুক, তাইওয়ানে বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যুর খবরে বিতর্ক জাগিয়ে সুভাষ চন্দ্রের পুনরাবির্ভাব ঘটেনি। কিন্তু কাহিনি চালু থাকল।\"",
"দেবেন্দ্র মোহন বসু\nবাংলাদেশের কিশোরগঞ্জ জেলার ইটনা থানার জয়সিদ্ধি গ্রামে ১৮৮৫ খ্রিস্টাব্দে বিজ্ঞানী দেবেন্দ্র মোহন বসু জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম মোহিনী মোহন বসু। রেংলার আনন্দ মোহন বসু তার সহোদর কাকা। বাল্যকালে পিতৃবিয়োগ ঘটলে মাতুল বিজ্ঞানী আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসুর সান্নিধ্যে ভারতে বসবাস করেন। শৈশবে দেবেন্দ্রমোহনের আনুষ্ঠানিক শিক্ষা শুরু হয়েছিল একটি ব্রাহ্ম বালিকা বিদ্যালয়ে। বালিকা বিদ্যালয় হলেও এতে প্রাথমিক স্তর পর্যন্ত পর্যন্ত সহশিক্ষা চালু ছিল। এরপর তিনি আনন্দমোহন বসু প্রতিষ্ঠিত সিটি স্কুলে লেখাপড়া করেন এবং এ স্কুল থেকেই এন্ট্রান্স পাশ করেছেন। ১৯০১ খ্রিস্টাব্দে তাঁর পিতার মৃত্যু হয়। এসময় তিনি অভিভাবক হিসেবে পেলেন বৈজ্ঞানিক জগদীশচন্দ্র বসুকে। এন্ট্রান্স পাশ ক'রে দেবেন্দ্রমোহন প্রেসিডেন্সি কলেজে ভর্তি হয়েছিলেন। কিন্তু পিতার মৃত্যুর পর দ্রুত জীবিকা অর্জ্জনের তাগিদে ভর্তি হলেন শিবপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে, প্রকৌশলী হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে। এ সময় তিনি ছাত্রবাসে অবস্থান করতেন। কিছুদিন পর ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে তাঁকে বাড়ী ফরেঁ আসতে হয় ; আর তার শিবপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ফিরে যাওয়া হয় নি। এসময় কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর পরামর্শ দিলেন মামা জগদীশচন্দ্রের মত পদার্থবিজ্ঞান পড়তে। দেবেন্দ্রমোহন পুনরায় প্রেসিডেন্সি কলেজে ভর্তি হলেন পদার্থবিদ্যা আর ভূতত্ত্ব নিয়ে। যথাসময়ে প্রথম শ্রেণী সহ বিএসসি পাস করলেন। ১৯০৬ খ্রিস্টাব্দে এমএসসি পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণীতে প্রথম হলেন;- জগদীশচন্দ্র বসু তখন বায়োফিজিক্স ও প্ল্যান্ট ফিজিওলজি নিয়ে গবেষণা করছেন। দেবেন্দ্রমোহন যোগ দিলেন জগদীশচন্দ্রের রিসার্চ গ্রুপে শিক্ষানবিশ গবেষক হিসেবে [3]। ১৯০৭ খ্রিস্টাব্দে দেবেন্দ্রমোহন ইংল্যান্ডে গিয়ে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রাইস্ট কলেজে ভর্তি হলেন। এখানে তিনি ক্যাভেনডিশ ল্যাবে স্যার জে জে থমসন ও চার্লস উইলসনের সাথে কাজ করার সুযোগ লাভ করলেন। ১৯০৮ থেকে ১৯১১ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত ক্যাভেন্ডিশ ল্যাবে কাজ করেছেন দেবেন্দ্রমোহন। ১৯১০ খ্রিস্টাব্দে দেবেন্দ্রমোহন লন্ডনের রয়েল কলেজ অব সায়েন্সে ভর্তি হলেন। ১৯১২ খ্রিস্টাব্দে এখান থেকেই ডিপ্লোমা ও প্রথম শ্রেণীর অনার্স সহ বিএসসি ডিগ্রি লাভ করেন।",
"শরৎচন্দ্র বসু\nশরৎচন্দ্র বসু (জন্ম: ৬ই সেপ্টেম্বর,১৮৮৯ - মৃত্য: ২০শে ফেব্রুয়ারি, ১৯৫০) ছিলেন একজন বাঙালি জাতীয়তাবাদী, পেশায় ব্যারিস্টার এবং ভারতের স্বাধীনতা কর্মী। তিনি জানকীনাথ বসুর ছেলে এবং নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসুর বড়ভাই। তিনি ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন করেন ও পরবর্তীতে একটি অবিভক্ত স্বাধীন বাংলা প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষে কাজ করে গেছেন। তিনি ভারতীয় সশস্ত্র বিপ্লবী আন্দোলনের একজন নৈতিক সমর্থক ছিলেন। স্বাধীনতা সংগ্রামীদের হয়ে আদালতে বিনা পারিশ্রমিকে সওয়াল করতেন। তার স্ত্রী শ্রীমতি বিভাবতী বসুও গান্ধীবাদী আন্দোলন ও স্বাধীনতা সংগ্রামে সহযোগী ভূমিকা নেন।\n১৯৩৬ থেকে ১৯৪৭ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত তিনি কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য ছিলেন। কেবিনেট মিশন পরিকল্পনা নিয়ে কংগ্রেসের ভূমিকা সম্পর্কিত ইস্যুতে তিনি ১৯৪৭ সালে তাঁর সদস্য পদ ত্যাগ করেন। একজন দেশপ্রেমিক বাঙালি হিসেবে শরৎচন্দ্র বসু বাংলা বিভাগের ঘোর বিরোধী ছিলেন। তিনি সমাজ ও ভাষার ভিত্তিতে গঠিত স্বশাসিত সমাজতান্ত্রিক রাজ্যের সমন্বয়ে একটি অখন্ড ভারত গঠনের পক্ষে ছিলেন। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর সাথে তাঁর চিন্তাধারার যথেষ্ট মিল ছিল। সোহরাওয়ার্দীও এ সময় আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মিলিত স্বাধীন বাংলা বাস্তবায়নের পরিকল্পনা উপস্থাপন করেন। উভয় নেতা পরবর্তী সময়ে একটি অখন্ড স্বাধীন বাংলার স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এক হয়ে কাজ করেন।",
"রাজশেখর বসু\nরাজশেখর বসু ১৮৮০ খ্রিস্টাব্দের ১৮ই মার্চ বর্ধমান জেলার বামুনপাড়া গ্রামে তাঁর মাতুলালয়ে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা দার্শনিক পণ্ডিত চন্দ্রশেখর বসুর ছিলেন দ্বারভাঙ্গা রাজ-এস্টেটের ম্যানেজার। তাঁর নিবাস ছিল নদিয়া জেলার বীরনগর (উলা) গ্রামে। রাজশেখর বসু ছিলেন চন্দ্রশেখর ও লক্ষ্মীমণি দেবীর ছয় সন্তানের (শশীশেখর, গিরিন্দ্রশেখর প্রমুখ) মধ্যে দ্বিতীয়। দ্বারভাঙ্গায় তিনি শৈশবকাল অতিবহিত করেন ও বাংলা ভাষার তুলনায় হিন্দী ভাষায় পারদর্শীতা অর্জন করেন। তিনি ১৮৯৫ খ্রিস্টাব্দে দ্বারভাঙ্গা রাজস্কুল থেকে এন্ট্রাস, ১৮৯৭ খ্রিস্টাব্দে পাটনা কলেজ থেকে এফ.এ পাশ করেন। ফার্স্ট আর্টস পাস করার পর শ্যামাচরণ দে'র পৌত্রী মৃণালিনী দেবীর সঙ্গে পরিণয়সূত্রে আবদ্ধ হন। ১৮৯৯ খ্রিস্টাব্দে কলকাতা প্রেসিডেন্সী কলেজ থেকে রসায়ন ও পদার্থবিজ্ঞানে অনার্সসহ বি.এ পাশ করেন। তখনও এম.এস-সি কোর্স চালু না হওয়ায় ১৯০০ খ্রিস্টাব্দে রসায়নে এম.এ পরীক্ষা দেন এবং প্রথম হন।",
"জগদীশ চন্দ্র বসু\nজগদীশ চন্দ্র বসু ১৮৫৮ সালের ৩০শে নভেম্বর ব্রিটিশ ভারতের বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি অঞ্চলের ময়মনসিংহে জন্মগ্রহণ করেন। বিক্রমপুরের রাঢ়িখাল গ্রামে তাঁর পরিবারের প্রকৃত বাসস্থান ছিল। তার পিতা ব্রাহ্ম ধর্মাবলম্বী ভগবান চন্দ্র বসু তখন ফরিদপুরের ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন। এর পূর্বে তিনি ১৮৫৩ থেকে ১৮৫৮ সাল পর্যন্ত ময়মনসিংহ জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেছেন। ভগবান চন্দ্রই এই স্কুলের প্রথম প্রধান শিক্ষক ছিলেন। পরবর্তিতে তিনি বর্ধমান ও অন্যান্য কিছু অঞ্চলের ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্ব পালন করেছেন।",
"নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর\nনেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (আগেকার নাম: দমদম বিমানবন্দর) ভারতের একটি বিমানবন্দর। এটি পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতা শহর থেকে ১৭ কিলোমিটার দুরে অবস্থিত৷ এর দুইটি সমান্তরাল রানওয়ে আছে। এর ৩টি প্রান্তিক আছে: একটি অভ্যন্তরীন প্রান্তিক, একটি আন্তর্জাতিক প্রান্তিক আর একটি মালবাহী প্রান্তিক। ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন বিশিষ্ট নেতা নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর নামে এই বিমানবন্দরের নামকরণ করা হয়েছিল, আগে দমদম বিমানবন্দর নামে পরিচিত ছিল।",
"ক্ষুদিরাম বসু\nক্ষুদিরাম বসু ১৮৮৯ খ্রিস্টাব্দের ৩ ডিসেম্বর তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির অন্তর্গত মেদিনীপুর শহরের কাছাকাছি (বর্তমান পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা) কেশপুর থানার অন্তর্গত মৌবনী (হাবিবপুর) গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা ত্রৈলোক্যনাথ বসু ছিলেন নাড়াজোলের তহসিলদার। তাঁর মার নাম লক্ষ্মীপ্রিয় দেবী। তিন কন্যার পর তিনি তাঁর মায়ের চতুর্থ সন্তান। তাঁর দুই পুত্র অকালে মৃত্যুবরণ করেন। অপর পুত্রের মৃত্যুর আশঙ্কায় তিনি তখনকার সমাজের নিয়ম অনুযায়ী তাঁর পুত্রকে তার বড়ো দিদির কাছে তিন মুঠো খুদের (চালের খুদ) বিনিময়ে বিক্রি করে দেন। খুদের বিনিময়ে কেনা হয়েছিল বলে শিশুটির নাম পরবর্তীকালে ক্ষুদিরাম রাখা হয়।\nক্ষুদিরামের বয়স যখন মাত্র ছ-বছর তখন তিনি তাঁর মাকে হারান। এক বছর পর তাঁর পিতার মৃত্যু হয়। তখন তাঁর বড়ো দিদি অপরূপা তাঁকে দাসপুর থানার এক গ্রামে নিজের বাড়িতে নিয়ে যান। অপরূপার স্বামী অমৃতলাল রায় ক্ষুদিরামকে তমলুকের হ্যামিল্টন হাই স্কুলএ ভরতি করে দেন।\n১৯০২ এবং ১৯০৩ খ্রিস্টাব্দে শ্রী অরবিন্দ এবং সিস্টার-নিবেদিতা মেদিনীপুর ভ্রমণ করেন। তাঁরা স্বাধীনতার জন্যে জনসমক্ষে ধারাবাহিক বক্তব্য রাখেন এবং বিপ্লবী গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে গোপন অধিবেশন করেন, তখন কিশোর ছাত্র ক্ষুদিরাম এই সমস্ত বিপ্লবী আলোচনায় সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন।\nস্পষ্টভাবেই তিনি \"অনুশীলন সমিতি\"তে যোগদান করেন এবং কলকাতায় বারীন্দ্র কুমার ঘোষের কর্মতৎপরতার সংস্পর্শে আসেন। তিনি ১৫ বছর বয়সেই অনুশীলন সমিতির একজন স্বেচ্ছাসেবী হয়ে ওঠেন এবং ভারতে ব্রিটিশ শাসন বিরোধী পুস্তিকা বিতরণের অপরাধে গ্রেপ্তার হন। ১৬ বছর বয়সে ক্ষুদিরাম থানার কাছে বোমা মজুত করতে থাকেন এবং সরকারি আধিকারিকদেরকে আক্রমণের লক্ষ্য স্থির করেন।",
"বিপাশা বসু\nবিপাশা বসু ১৯৭৯ সালের ৭ জানুয়ারি নয়াদিল্লিতে বাঙালি হিন্দু পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার দুই বোন আছে - বিদিশা ও বিজয়েতা। তন্মধ্যে বিদিশার পরেই বিপাশার অবস্থান। নয়াদিল্লিতে জন্মগ্রহণ করলেও পরবর্তীকালে তিনি তার বাবা-মায়ের সাথে কলকাতায় ফিরে আসেন।\nএকান্ত সাক্ষাৎকারে বিপাশা বলেন যে, তিনি চিকিৎসাশাস্ত্রে পড়াশোনার জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করলেও মডেলিং এবং অভিনয়ের জগতে প্রবেশ করেন একান্তই আকস্মিকভাবে।\nভবন'স গঙ্গাবাক্স কানোরিয়া বিদ্যামন্দিরে বিপাশা বিজ্ঞান নিয়ে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনা করেন। পরবর্তীকালে তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত ভবানীপুর গুজরাতি এডুকেশন সোসাইটি কলেজে বাণিজ্য বিভাগে অধ্যয়ন করেন। কলকাতা থাকাকালে তিনি সাময়িক পেশা হিসেবে মডেলিং এবং র্যাম্প শো-তে অংশ নেন।\n১৯৯৬ সালে কলকাতায় বিখ্যাত মডেল মেহের জেসিয়া'র সাথে পরিচিত হন। জেসিয়া বিপাশাকে গোদ্রেজ সিন্থল সুপারমডেল প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়ার জন্য পরামর্শ দেন। এতে বিপাশা বসু অংশ নিয়ে প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন।",
"সুচিত্রা ভট্টাচার্য\nসুচিত্রা ভট্টাচার্য ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দের ১০ই জানুয়ারি ভারতের বিহারের ভাগলপুরে মামারবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। যদিও তাঁর পিত্রালয় ছিল মুর্শিদাবাদ জেলার বহরমপুর শহরে, তবে কলকাতা শহরে তাঁর স্কুল ও কলেজ জীবন কাটে। তিনি কলকাতা শহরের যোগমায়া দেবী কলেজ থেকে স্নাতক হন।কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষালাভের সময় তিনি বিবাহসূত্রে আবদ্ধ হন। বিভিন্ন স্থানে চাকরি করার পর তিনি সরকারী চাকরিতে যোগদান করেন। লেখিকা হিসেবে সম্পূ্র্ণ রূপে সময় দেওয়ার জন্য তিনি ২০০৪ খ্রিস্টাব্দে তাঁর চাকরি থেকে ইস্তফা দেন। জীবনের শেষদিন পর্যন্ত তিনি দক্ষিণ কলকাতার ঢাকুরিয়া অঞ্চলের বাসিন্দা ছিলেন। ২০১৫ সালের ১২ই মে রাত ১০টা ৪৫ মিনিটে তাঁর বাড়িতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে সুচিত্রা ভট্টাচার্যের জীবনাবসান হয়।"
] | 63 |
সিরিয়ার প্রথম সুলতান সালাদিন কোন সাম্রাজ্যের শাসক ছিলেন ? | [
"সালাহউদ্দিন\nসালাহউদ্দীন ইউসুফ ইবনে আইয়ুব (কুর্দি: سەلاحەدینی ئەییووبی/Selahedînê Eyûbî; ) (১১৩৭/১১৩৮ – ৪ মার্চ ১১৯৩) ছিলেন মিশর ও সিরিয়ার প্রথম সুলতান এবং আইয়ুবীয় রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা। পাশ্চাত্যে তিনি সালাদিন বলে পরিচিত। তিনি কুর্দি জাতিগোষ্ঠীর লোক ছিলেন। লেভান্টে ইউরোপীয় ক্রুসেডারদের বিরুদ্ধে তিনি মুসলিম প্রতিরোধের নেতৃত্ব দেন। ক্ষমতার সর্বোচ্চ শিখরে তার সালতানাতে মিশর, সিরিয়া, মেসোপটেমিয়া, হেজাজ, ইয়েমেন এবং উত্তর আফ্রিকার অন্যান্য অংশ অন্তর্ভুক্ত ছিল।",
"হাত্তিনের যুদ্ধ\nইতিমধ্যে জেরুজালেমকে ঘিরে থাকা মুসলিম রাষ্ট্রগুলো ১১৭০ ও ১১৮০ এর দশকে সালাদিন কর্তৃক ঐক্যবদ্ধ হয়। ১১৬৯ সালে সালাদিন মিশরের উজির নিযুক্ত হন এবং শীঘ্রই সুলতান হিসেবে দেশের শাসনভার লাভ করেন। ১১৭৪ সালে দামেস্কে তিনি তার শাসন জারি করেন। ১১৭৬ সাল নাগাদ আলেপ্পো ও ১১৮৩ সাল নাগাদ মসুলে তার কর্তৃত্ব স্থাপিত হয়। ফলে প্রথমবারের মত জেরুজালেম রাজ্য মুসলিম শাসিত অঞ্চল দ্বারা আবদ্ধ হয়ে পড়ে। ১১৭৭ সালে ক্রুসেডাররা সালাদিনকে মন্টগিসারডের যুদ্ধের পরাজিত করে এবং ১১৮০ এর দশকের প্রথমদিকে দুপক্ষের মধ্যে একটি সন্ধি ছিল। কিন্তু রেইনল্ড একটি মুসলিম ক্যারাভেনকে আক্রমণ করলে সন্ধি ভঙ্গ হয়। এছাড়া রেইনল্ড মক্কা আক্রমণের হুমকিও দিয়েছিল।"
] | [
"দ্বিতীয় আব্দুল হামিদ\nআব্দুল হামিদ ২ (২১ সেপ্টেম্বর ১৮৪২ – ১০ ফেব্রুয়ারি ১৯১৮) ছিলেন উসমানীয় সাম্রাজ্যের ৩৪তম সুলতান। তিনি ছিলেন সাম্রাজ্য শাসনকারী সর্বশেষ সুলতান, যার মাধ্যমে উসমানীয় সাম্রাজ্যের শাসন সমাপ্ত হয়। তিনি সুলতান আব্দুল মাজিদের পুত্র।তিনি ছিলেন একজন সত্যিকারের শাসক। তার সময় উসমানীয় সাম্রাজ্যের তৎকালীন সময়ে অন্য সম্রাজ্য গুলো তুলনায় সামরিক ও অর্থনৈতিক সহ সকল ক্ষেত্রে পিছিয়ে থাকার পরে তাঁর অসামান্য শাসনব্যবস্থা ও দক্ষতায় সাম্রাজ্যের অবকাঠামো উন্নয়ন সাধিত হয়। এছাড়াও তার সময় উল্লেখযোগ্য হেজাজ রেলওয়ে কাজ সম্পন্ন হয়। তিনি ছিলেন মুসলিমদের শেষ প্রতিরোধ শক্তি ও স্বাধীন খলিফা।\nইহুদী-খৃষটানরা চক্রান্ত ও পাশ্চাত্যের আদর্শে দিক্ষিত সেক্যুলারপন্থী তরুণ তুর্কি বিপ্লবদের মাধ্যমে তাকে মসনদ থেকে পদচ্যুত করা হয়।",
"প্রথম সুলাইমান\nপ্রথম সুলাইমান (উসমানীয় তুর্কি ভাষায়: سليمان اوّل) (\"সুলায়মান দ্য ম্যাগ্নিফিসেন্ট\", তুর্কি ভাষায় মুহতেশিম সুলাইমান বা মহৎ সুলায়মান নামে পশ্চিমা বিশ্বে পরিচিত, তুরস্কে কানুনি সুলতান সুলাইমান নামে পরিচিত) ছিলেন উসমানীয় সাম্রাজ্যের দশম এবং সবচেয়ে দীর্ঘকালব্যাপী শাসনরত সুলতান, যিনি ১৫২০ সাল থেকে ১৫৬৬ সালে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত উসমানীয় সাম্রাজ্য শাসন করেন। পাশ্চাত্ত্যে তিনি মহৎ সুলাইমান হিসেবেও পরিচিত। তিনি পুর্নবারের জন্য সম্পূর্ণভাবে উসমানীয় সাম্রাজ্যের নীতিমালাগুলো তৈরি করেছিলেন বলে প্রাচ্যে তাঁকে বলা হয় বিধানকর্তা সুলাইমান ()। প্রথম সুলাইমান ষোড়শ শতাব্দীর ইউরোপে একজন বিশিষ্ঠ রাজা হিসেবে স্থান লাভ করেন, যার শাসনামলে উসমানীয় সাম্রাজ্যের সামরিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক শক্তির বিস্তার ঘটে। সুলতান সুলাইমানের সেনাবাহিনী রোমান সাম্রাজ্য এবং হাঙ্গেরির পতন ঘটায়।সুলতান সুলাইমান পারস্যের সাফাভিদ সুলতান, প্রথম তাহমাসবের বিরুদ্ধে যুদ্ধ পরিচালনা করেন এবং মধ্য প্রাচ্যের বেশির ভাগ অঞ্চল দখল করে নেন। তিনি উত্তর আফ্রিকায় আলজেরিয়া সহ বড় বড় অঞ্চলগুলো রোমান সাম্রাজ্যের হাত থেকে দখল করে নেয়। তাঁর শাসনামলে নৌসেনাপতি হাইরেদ্দীন বারবারোসা স্পেনের অ্যাডমিরাল আন্দ্রে ডুরিয়ো নেতৃত্বে সম্মিলিত খ্রিস্টান বাহিনীর বিরুদ্ধে ১৫৩৮ সালে প্রিভিজার যুদ্ধে বারবারোসা বিজয় লাভ করে।এই উসমানীয় নৌবাহিনী ভূমধ্যসাগর থেকে লোহিত সাগর ও পারস্য উপসাগর পর্যন্ত তাদের আধিপত্য বজায় রাখে। \nএছাড়াও তার নৌ বাহিনী তৎকালীন স্পেনের হত্যাযজ্ঞ থেকে বেঁচে যাওয়া পলায়নরত নির্বাসিত মুসলিম ও ইহুদিদের উদ্ধারকার্য পরিচালনা করেন।\nসুলতান সুলায়মান ছিলেন উসমানীয় সাম্রাজ্যের সবেচেয়ে শক্তিশালী ও ক্ষমতাবান সুলতান।",
"প্রথম সেলিম\nপ্রথম সেলিম (ওসমানীয় তুর্কি: سليم اوّل, আধুনিক তুর্কি: \"I.Selim\" বা \"ইয়াভুজ সুলতান সেলিম\"), ডাকনাম ইয়াভুজ (১০ অক্টোবর ১৪৬৫/১৪৬৬/১৪৭০ – ২২ সেপ্টেম্বর ১৫২০) ছিলেন প্রথম ওসমানীয় খলিফা এবং নবম ওসমানীয় সুলতান। ১৫১২ থেকে ১৫২০ সাল পর্যন্ত ওসমানীয় সুলতান ছিলেন। সাম্রাজ্যের ব্যাপক বিস্তৃতির জন্য তার শাসনামল পরিচিত।১৫১৪ সালে মুসলিম সাম্রাজ্য শিয়া ফেতনা থেকে মুক্ত করার জন্য শিয়া সাফাভি ইসমাইল শাহকে পরাজিত করেন। তৎকালীন মিশরীয় মামুলোকেরা ইউরোপে খৃষ্টানদের সাথে উসমানীয় সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে ও তৎকালীন সময়ে পর্তুগাল মক্কা-মদিনা ধ্বংসের হুমকি দিলে তারা তা প্রতিরোধ করতে অপারগ থাকায় সুলতান প্রথম সেলিম ১৫১৬ থেকে ১৫১৭ সাল পর্যন্ত চলমান যুদ্ধে ওসমানীয়রা মিশরের মামলুক সালতানাত জয় করে নেয়।\nএর ফলে লেভান্ট সিরিয়া ফিলিস্তিনি, হেজাজ, তিহামাহ ও মিশর উসমানীয়দের অধিকারে আসে। তিনি ১৫১৭ সালে খাদেমুল হারামাইন শরিফাইন উপাধি ধারণ করেন। মুসলিম অধ্যুষিত অঞ্চল জয় এবং একীভূত করার মাধ্যমে সেলিম মক্কা ও মদিনার রক্ষক হয়ে উঠেন।",
"এলদিগুয\nতিনি জন্মসূত্রে ছিলেন একজন কিপছাক। সেলজুক্ব সুলতান প্রথম মেহদির সাবেক উজির- কামাল দিন-আল সিমিরুমির ফ্রিডম্যান ছিলেন এবং পরে সুলতান মাস'উদ এর শাসনামলে (১১৩৪-১১৫২) তিনি আরানের সচিব পদে উপনীত হন। সেলজুক্ব রাজ্যে তিনি ছিলেন সবচেয়ে শক্তিশালী সীমান্তবর্তী আমির, তিনি পাশ্ববর্তী জর্জিয়া রাজ্যের ঘন ঘন আক্রমণকে প্রতিহত করার জন্য বিরাট সেনাবাহিনীর সাহায্য লাভ করেন। এর ফলে ১১৪৬ সালে তিনি নিজেকে আজারবাইজানের স্বাধীন শাসক হিসেবে ঘোষণা করেন। তিনি দ্বিতীয় সুলতান তঘরুল (১১৩২-১১৩৩; মাসুদের ভাই এবং পূর্বপুরুষ) এর বিধবা স্ত্রী-কে বিয়ে করেন যিনি তাঁকে উক্ত রাজবংশীয় বিবাদে ( ১১৫২ সালে যা মাসুদের মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়ায়) হস্তক্ষেপের ব্যপারে অনুমতি দেয়। তিনি সফলতা লাভ করেন, ১১৬০ সালে, সুলায়মান শাহ এর পদচ্যুতি ঘটিয়ে তিনি তাঁর সৎ পুত্র আরস্লান বি. তঘরুল (১১৬০-১১৭৫) কে সুলতান পদে উপবিষ্ট করেন। আতাবেক এর খেতাব লাভ করে, ইলদেনিয তখন সুলতানের প্রশাসকের প্রধান রক্ষাকর্তায় উপনীত হন।",
"বিদার সালতানাত\n১৫৪২ সালে তার পুত্র আলি বারিদ তার উত্তরসুরি হন। আলি বারিদ প্রথম \"শাহ\" উপাধি ধারণ করেছিলেন। বিজয়নগর সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে তালিকোটের যুদ্ধে তিনি দক্ষিণাত্যের অন্যান্য সুলতানদেরকে তার সাথে যুক্ত করেছিলেন। ১৫৮০ সালে তিনি মারা যাওয়ার পর ইবরাহিম বারিদ শাসক হন। ১৫৮৭ সালে ইবরাহিম বারিদের মৃত্যুর পর তার ছোট ভাই দ্বিতীয় কাসিম বারিদ শাসক হন। ১৫৯১ সালে দ্বিতীয় কাসিম বারিদ মারা যান, এরপর তার শিশুপুত্র দ্বিতীয় আলি বারিদ তার উত্তরসুরি হন। দ্বিতীয় আলি বারিদের এক আত্মীয় দ্বিতীয় আমির বারিদ তাকে শীঘ্রই ক্ষমতাচ্যুত করেছিলেন। ১৬০১ সালে দ্বিতীয় আমির বারিদের এক আত্মীয় মীর্জা আলি বারিদ তাকে ক্ষমতাচ্যুত করেন। ১৬০৯ সালে শেষ শাসক তৃতীয় আমির বারিদ তার উত্তরসুরি হন। তিনি ১৬১৬ সালে মুঘলদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। ১৬১৯ সালে তিনি বিজাপুরের সুলতান দ্বিতীয় ইবরাহিম আদিল শাহর কাছে পরাজিত হন। বিজাপুর সালতানাতের সাথে বিদার একীভূত হয়। তৃতীয় আমির বারিদ এবং তার পুত্রদের বিজাপুর নিয়ে আসা হয় এবং তাদেরকে নজরদারির মধ্যে রাখা হয়।",
"সালাহউদ্দিন\n১১৭৪ সালে নূরউদ্দিনের মৃত্যুর অল্পকাল পরে সালাহউদ্দীন সিরিয়া বিজয়ে ব্যক্তিগতভাবে নেতৃত্ব দেন। দামেস্কের শাসকের অনুরোধে তিনি শান্তিপূর্ণভাবে শহরে প্রবেশ করেন। ১১৭৫ সালের মধ্যভাগে তিনি হামা ও হিমস জয় করেন। জেনগি নেতারা তার বিরোধী হয়ে পড়ে। সরকারিভাবে তারা সিরিয়ার শাসক ছিল। এরপর শীঘ্রই তিনি জেনগি সেনাবাহিনীকে পরাজিত করেন এবং আব্বাসীয় খলিফা আল মুসতাদি কর্তৃক মিশর ও সিরিয়ার সুলতান ঘোষিত হন। উত্তর সিরিয়া ও জাজিরায় তিনি আরও অভিযান চালান। এসময় হাশিশীনদের দুটি হত্যাচেষ্টা থেকে তিনি বেঁচে যান। ১১৭৭ সালে তিনি মিশরে ফিরে আসেন। ১১৮২ সালে আলেপ্পো জয়ের মাধ্যমে সালাহউদ্দিন সিরিয়া জয় সমাপ্ত করেন। তবে জেনগিদের মসুলের শক্তঘাটি দখলে সমর্থ হননি।",
"রাজিয়া সুলতানা\nরাজিয়া সুলতানা (১২০৫ - ১২৪০) (ফার্সি / উর্দূ: رضیہ سلطانہ) সুলতান ইলতুতমিশের কন্যা ও ভারতবর্ষের প্রথম মহিলা শাসক। তিনি একাধারে একজন ভাল প্রসাশক ও সেনাপতি ছিলেন; তাছাড়া যুদ্ধক্ষেত্রে একজন দক্ষ সৈন্য হিসেবে তার পরিচিতি ছিল। সুলতান ইলতুতমিশের সবথেকে যোগ্য পুত্র সুলতানের জীবদ্দশায় মৃত্যু বরণ করলে সুলতান তার কন্যা রাজিয়া সুলতানাকে দিল্লির শাসক হিসেবে মনোনিত করে যান। যখনই ইলতুতমিশের রাজধানী ছাড়তে হত, তিনি তখন তার কন্যা রাজিয়া সুলতানাকে শাসনভার বুঝিয়ে দিয়ে যেতেন। রাজিয়া ছিলেন সুলতানের জ্যেষ্ঠা কন্যা, বুদ্ধিমতী ও যুদ্ধবিদ্যায় পটু।",
"সুলতান সুলেমান (টিভি ধারাবাহিক)\n২৬ বছর বয়সে শাসনকালের সূচনালগ্নে সুলাইমান (খালিদ এরগেঞ্চ) মহামতি আলেক্সান্ডারের থেকে শক্তিশালী সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করে অটোমান জাতিকে অপরাজেয় জাতি হিসেবে গড়ে তোলার সংকল্প করেন। তার ৪৬ বছরের শাসনকাল জুড়ে, পূর্ব ও পশ্চিমে সমসাময়িক মহান যোদ্ধা ও শাসক হিসেবে তার সুনাম ছড়িয়ে পড়ে। তার সঙ্গী ইব্রাহিম পাশাকে (ওকান ইয়ালাবিক) সাথে নিয়ে সুলেমান অগণিত যুদ্ধাভিযান জয় করেন। তিনি ইব্রাহিমকে তার ভাই, বন্ধু এবং উপদেষ্টা হিসেবে সম্মানিত করেন। ধারাবাহিকটিতে সুলায়মানের রাজনৈতিক শক্তি একীভূতকরণকে প্রদর্শন করা হয়েছে: ইব্রাহিম পাশাকে রাষ্ট্রের উজির হিসেবে নিযুক্তকরণ, সমস্ত সাম্রাজ্য জুড়ে আইনি শাসন পুনর্বহাল করা, বৈদেশিক কূটনৈতিকদের সঙ্গে সাক্ষাৎ, এবং যুদ্ধাভিযানের জন্য সেনাবাহিনী প্রস্তুতকরণ, এই সকল ঘটনাই রোমান সাম্রাজ্য এবং অটোমান সাম্রাজ্যের পারস্পারিক সম্পর্কের অবনতির পরিপ্রেক্ষিতে ঘটে।"
] | 49 |
বাংলাদেশের সংসদে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে শাস্তি বাড়িয়ে কবে আইনটিকে আরও কঠোর করা হয় ? | [
"ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮\nতথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন প্রথম করা হয় ২০০৬ সালে। পরবর্তীতে ২০১৩ সালে শাস্তি বাড়িয়ে আইনটিকে আরও কঠোর করা হয়।",
"ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮\nডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এর আলোচিত সমালোচিত কিছু উল্লেখযোগ্য ধারা নীচে তুলে ধরা হলোঃবাংলাদেশ বা বিশ্বের যেকোনো দেশে বসে বাংলাদেশের কোন নাগরিক যদি এই আইন লঙ্ঘন করেন, তাহলেই তার বিরুদ্ধে এই আইনে বিচার করা যাবে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিচার হবে বিশেষ ট্রাইব্যুনালে। অভিযোগ গঠনের ১৮০ কার্যদিবসের মধ্যে মামলার নিষ্পত্তি করতে হবে। তবে এর মধ্যে করা সম্ভব না হলে সর্বোচ্চ ৯০ কার্যদিবস পর্যন্ত বাড়ানো যাবে।"
] | [
"ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮\nসংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. শাহদীন মালিক এ আইনকে মধ্যযুগে ফিরে যাওয়ার আইন বলে অভিহিত করেন। তার মতে এ আইন বাকস্বাধীনতা বিরোধী। বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে পাস হওয়া ডিজিটাল নিরাপত্তা বিলে সই না করার জন্য রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদকে আহ্বান জানিয়েছে সাংবাদিকদের আন্তর্জাতিক সংগঠন কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস (সিপিজে)। সেই চিঠিতে এই বিলটিকে পুনর্বিবেচনার জন্য সংসদে ফেরত পাঠানোরও আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি। সংস্থাটির মতে আইনটি বলবত হয়ে গেলে বাংলাদেশের সংবিধানে গণমাধ্যমের স্বাধীনতার যে নিশ্চয়তা দেয়া হয়েছে তা বিঘ্নিত হবে।",
"ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮\n১০টি পশ্চিমা দেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের কূটনীতিকরা আইনের ২১, ২৫, ২৮ ও ৩২ ধারা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এই আইনকে সংবিধানের মূলনীতির পরিপন্থী আখ্যা দিয়ে টিআইবি আইনটি পাস না করতে অনুরোধ জানান। প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, বিতর্কিত ৩২ ধারার ডিজিটাল গুপ্তচর বৃত্তির ক্ষেত্রে ঔপনিবেশিক আমলের অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট, ১৯২৩ অনুসরণের সুপারিশ করার দৃষ্টান্ত অত্যন্ত হতাশা ও দুঃখজনক এ আইনের কারণে বাক স্বাধীনতা ওপর বিরুপ প্রভাব ও তথ্য জানার অধিকার বিঘ্নিত হবে বলে সুলতানা কামাল অভিমত প্রকাশ করেন। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে কালো আইন বলে আখ্যায়িত করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল। সংবাদ সম্মেলনে এ দলের প্রতিনিধি রিজভী আহমেদ, এ আইনকে বাকস্বাধীনতা বিরোধী বলে আখ্যায়িত করে।",
"ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮\nতথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৪, ৫৫, ৫৬, ৫৭ ও ৬৬ সহ মোট ৫টি ধারা বিলুপ্ত করে ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তে, বাংলাদেশের সংসদে কণ্ঠভোটে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ পাস হয়। এ আইনটি প্রস্তাবের পর গণমাধ্যম এবং সামাজিক মাধ্যমের কর্মী সহ বিভিন্ন মহল তীব্র সমালোচনা করে। তাদের মতে ৫৭ ধারায় অপরাধের ধরনগুলো একসঙ্গে উল্লেখ ছিল, নতুন আইনে শুধুমাত্র সেগুলো বিভিন্ন ধারায় ভাগ করে দেয়া হয়েছে। ৩২ ধারায় সাংবাদিকরা হয়রানির শিকার হতে পারে বলে আশঙ্কা করেন সাংবাদিকরা।",
"ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮\nদশম জাতীয় সংসদের ২২তম অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন এই আইনের বিরোধিতা শুধুমাত্র ব্যক্তিস্বার্থেই করা হচ্ছে। তিনি জানান, এই আইনের ফলে সাংবাদিকদের কন্ঠ রোধ হবে না। ২০ সেপ্টেম্বর বিলটি পাসের আগে জনমত যাচাই-বাছাই প্রসঙ্গে ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এই বিলটি পাসের জন্য নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করছেন বলে সংসদে বলেন। তার মতে পৃথিবীর বহু দেশ এই আইনটি অনুসরণ করবে।",
"সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং (নিরাপত্তা)\n১৯৯৯ “জিএলবিএ” আইন হল একটি যুক্তরাষ্ট্রীয় বিধি যেটি যুক্তরাষ্ট্রীয় বিধিবদ্ধের অধিনে ব্যাংকিং নথির ছলচাতুরিকে দণ্ডনীয় অবৈধ নীতি বলে বিশেষভাবে আখ্যায়িত করে। যখন ব্যক্তিগত তদন্তকারী, সিআইইউ বীমা তদন্তকারী বা অ্যাডজাস্টারের মতো বাণিজ্যিক সত্তা যে কোন ধরণের ছলচাতুরির আচরণ করে তাহলে এটি যুক্তরাষ্ট্রীয় ট্রেড কমিশনের (এফটিসি) অধিনে বিচারের সম্মুখীন হবে। এই যুক্তরাষ্ট্রীয় সংস্থার কাছে দায় এবং কর্তৃত্ত্বের ক্ষমতা আছে যাতে করে ভোক্তারা এই নিয়ে নিশ্চিত থাকতে পারে যে তারা কোন অন্যায্য বা ভ্রান্তিজনক বাণিজ্যিক বিষয়ের শিকার হচ্ছেন না। ইউএস ফেডারেল ট্রেড কমিশন আইনের ধারা ৫ এ বলা আছে “যখনই কমিশনের বিশ্বাস করার জন্য যথেষ্ট কারণ থাকবে যে কোন ব্যক্তি, অংশীদার বা করপোরেশন কোন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ অসৎ পদ্ধতি বা অন্যায্য কিংবা প্রতারণাপূর্ণ আচরণ বা কাজ করবে অথবা বাণিজ্যকে প্রভাবিত করতে ব্যবহার করবে এবং এটি যদি কমিশনের কাছে পৌঁছায় যে এই জাতীয় আচরণ দ্বারা জনগণের স্বার্থের বিপক্ষে যাবে, তাহলে এটিকে প্রকাশ করা হবে এবং উক্ত ব্যক্তি, অংশীদার বা করপোরেশনের নিকট সম্মানের সাথে অভিযোগ জানানো যাবে।”",
"বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থা\nসরকার যেকোন ব্যক্তির মালিকানাধীন জমি বা ভবন সরকারি উদ্দেশ্যে বা জনস্বার্থে হুকুমদখল বা অধিগ্রহণ করতে এবং ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তাদের নিরূপিত মূল্য অনুযায়ী এমন জমি বা ভবনের মালিক ও দখলদারদের ক্ষতিপূরণ প্রদান করতে পারেন। ক্ষতিপূরণ নিরূপণের আদেশে সংক্ষুদ্ধ কোনো ব্যক্তি যুগ্ম জেলা জজের পদমর্যাদার নিচে নয় এমন পদে অধিষ্ঠিত ব্যক্তিদের মধ্য থেকে সরকার কর্তৃক নিযুক্ত সালিশকারীর কাছে আবেদন পেশ করতে পারেন। সালিশকারীর রোয়েদাদের বিরুদ্ধে সালিশি আপিল ট্রাইব্যুনালে আপিল করা যেতে পারে। জেলা জজ পদে রয়েছেন বা ছিলেন এমন ব্যক্তিদের মধ্য থেকে একজন সদস্য নিয়োগ করে এই সালিশি আপিল ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়। ক্ষতিপূরণের পরিমাণ নির্ণয় করে সালিশি আপিল ট্রাইব্যুনালের দেয়া সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। সংক্ষুদ্ধ ব্যক্তি সালিশী আপীল ট্রাইব্যুনালের সিদ্ধান্তের আইনগত বৈধতা বা যথার্থতা নিয়ে সন্তুষ্ট হবার উদ্দেশ্যে মামলার নথিপত্র পরীক্ষা করে দেখার জন্য হাইকোর্ট বিভাগের কাছে রীট অব সার্টিওয়ারি ইস্যুর আবেদন পেশ করতে পারেন। ক্ষতিপূরণের পরিমাণ সম্পর্কিত প্রশ্নের নিষ্পত্তি করার জন্য সাধারণত জেলা আদালতের একজন যুগ্ম জেলা জজকে সালিশকারী হিসেবে এবং সেই জেলার জেলা জজকে সালিশি আপীল ট্রাইব্যুনাল হিসেবে নিয়োগ করা হয়।",
"বাংলাদেশের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট\n১৮। নিগৃহীত নারীদের পুনর্বাসন নিশ্চিত করার ক্ষমতা। (ধারা ৫৫২)মোবাইল কোর্ট আইন ২০০৯, একটি পদ্ধতিগত আইন। এই আইনের আওতায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রায় শখানেক আইন, অধ্যাদেশ ও আদেশের বিচারাধিকার প্রাপ্ত হন। এই আইনের অধীনে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দুই বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড এবং সংশ্লিষ্ট আইন মোতাবেক জরিমানার শাস্তি দিতে পারেন। মোবাইল কোর্ট আইনের পরিসরে নিম্নলিখিত আইনসমূহ অন্তর্ভুক্ত:",
"বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকার\n২০১১ সালের পঞ্চদশ সংশোধনী বিলের ২০ ও ২১ নম্বর প্রস্তাবনায় বলা হয়, সংবিধানের ৫৮(ক) অনুচ্ছেদ বিলুপ্ত হইবে। সংবিধানের ২(ক) পরিচ্ছেদে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিলুপ্ত হইবে। প্রধান উপদেষ্টা, উপদেষ্টা পদসংক্রান্ত ১৫২ অনুচ্ছেদ সংশোধন ও ক্রান্তিকালীন এবং অস্থায়ী বিধানাবলী সংক্রান্ত ১৫০ অনুচ্ছেদ প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে নব্বই দিনের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন: সংবিধানের ১২৩ অনুচ্ছেদ সংশোধনের প্রস্তাব রেখে বিলে বলা হয়, ‘সংসদ সদস্যদের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হইবে—ক) মেয়াদ অবসানের কারণে সংসদ ভাঙিয়া যাইবার ক্ষেত্রে ভাঙিয়া যাইবার পূর্ববর্তী ৯০ দিনের মধ্যে; এবং খ) মেয়াদ অবসান ব্যতীত অন্য কোনো কারণে সংসদ ভাঙিয়া যাইবার ক্ষেত্রে ভাঙিয়া যাইবার পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে’ প্রতিস্থাপিত হবে।"
] | 37 |
প্রোটন কি একটি মৌলিক কণিকা ? | [
"কণা পদার্থবিজ্ঞান\nআধুনিক কণা পদার্থবিজ্ঞান এর গবেষণা উপপারমানবিক কণাকে(Subatomic particles) কেন্দ্র করে করা হয় যেখানে মৌলিক কনিকা ইলেকট্রন,প্রোটন, নিউট্রন (প্রোটন ও নিউট্রন যৌগিক কণা যারা কোয়ার্ক দিয়ে গঠিত) অন্তরভুক্ত। মৌলিক কণিকা সমূহ তেজস্ক্রিয়তাএবং বিক্ষেপণ প্রক্রিয়ায় ফোটন,নিউট্রিনো,মিউয়ন ও এক্সোটিক কনা দিয়ে গঠিত। কণা সমূহের গতিবিদ্যা কোয়ান্টাম বলবিদ্যায় আলোচিত হয়। \nসকল কণা এবং তাদের পারস্পরিক ক্রিয়া বিক্রিয়া প্রায় সম্পূর্ণভাবে একটি কোয়ান্টাম ফিল্ড দ্বারা ব্যখ্যা করা যায় যাকে বলা হয় স্ট্যানডার্ড মডেল। এতে বর্তমানে ৬১ টি প্রাথমিক কণা অন্তর্ভুক্ত। এখনও বিজ্ঞানীগণ মনে করেন এটি অসম্পূর্ণ রয়েছে।",
"প্রোটন\nপ্রোটন একটি মৌলিক কণিকা। এটি স্থিতিশীল। এর রয়েছে ইলেকট্রনের সমমানের(১.৬০২১৭৬৪৮৭(৪০)X ১০কুলম্ব) আধান; পার্থক্য শুধু এটুকুই যে, ইলেকট্রনের আধান ঋণাত্মক আর প্রোটনের আধান ধনাত্মক।",
"পারমাণবিক বিক্রিয়া\nপারমাণবিক বিক্রিয়া হচ্ছে পরমাণুতে থাকা নিউক্লিয়াসের বিক্রিয়া। পরমাণুর তিনটি মৌলিক কনিকা হচ্ছে ইলেকট্রন, প্রোটন ও নিউট্রন। তাদের মধ্যে ধনাত্মক চার্জ সম্পন্ন প্রোটন ও চার্জ বিহীন নিউট্রন পরমাণুর কেন্দ্র নিউক্লিয়াসে থাকে। আর প্রোটনের সমসংখ্যক ঋনাত্বক চার্জ বিশিষ্ট ইলেক্ট্রন পরমাণুর কেন্দ্র নিউক্লিয়াসকে কেন্দ্র করে ঘোরে। বিভিন্ন মৌলের পরমাণু তাদের সর্ববহিস্থ শক্তিস্তরে থাকা ইলেকট্রন গুলো আদান প্রদান করার মাধ্যমে রাসায়নিক বিক্রিয়া সংঘঠিত করে ।আর পরমাণুর মধ্যে থাকা একটি বড় নিউক্লিয়াস ভেঙ্গে একাধিক ছোট নিউক্লিয়াসে পরিণত হওয়ার প্রক্রিয়াকে পারমাণবিক বিক্রিয়া বলে।",
"মৌলিক কণা\nঐতিহাসিকভাবে , হ্যাড্রন , মেসন এবং বেরিয়ন (যেমন: প্রোটন এবং নিউট্রন এবং এমনকি পুরো পরমাণুই একসময় মৌলিক কণিকা হিসেবে বিবেচিত হয়েছে । মৌলিক কণা তত্ত্বের একটি ভিত্তিসূচক ধারণা হল ২০ শতাব্দীর সূচণাভাগের \"কোয়ান্টার\" ধারণা , যা তড়িৎচৌম্বক বিকিরণ সংক্রান্ত অধ্যয়নে নতুন যুগের সূচণা করেছে এবং কোয়ান্টাম বলবিদ্যার সূত্রপাত ঘটিয়েছে । গাণিতিক প্রয়োজনে মৌলিক কণাদিকে বিন্দু কণা হিসেবে বিবেচনা করা হয় , যদিও কিছু কণা তত্ত্ব যেমন স্ট্রিং তত্ত্বে এর ভৌত মাত্রার ধারণা দেয়া হয়েছে ।",
"পরমাণু\nপরমানুর গঠন কেমন হতে পারে , তা নিয়ে বিজ্ঞানীরা অনেক গবেষণা করেছেন । এর মধ্যে অন্যতম হলো ডাল্টনের পরমানুবাদ । আধুনিক রসায়ন এর ভিত্তি বলে পরিচিত ডাল্টনের পরমাণুবাদে পরমাণুকে অবিভাজ্য ধরা হয়েছে। কিন্তু এ তত্ত্ব এখন অচল। ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষ ভাগে প্রমাণিত হয় যে, পরমাণুর তিনটি উপাদান। যেসব সূক্ষ কণিকা দিয়ে পরমাণু গঠিত, তাদেরকে মৌলিক কণিকা বলে । এরা হচ্ছে ইলেকট্রন , প্রোটন এবং নিউট্রন । এ তিনটি কণিকা বিভিন্ন সংখ্যায় একত্রিত হয়ে ভিন্ন ভিন্ন পরমাণু গঠন করে । ধনাত্মক আধানযুক্ত প্রোটন এবং আধানহীন নিউট্রন একত্রিত হয়ে নিউক্লিয়াস গঠন করে আর এদেরকে ঘিরে ঋণাত্মক আধানের ইলেকট্রন ঘুরছে ।",
"পরমাণু\nইলেকট্রন ও প্রোটনের ন্যায় নিউট্রনও একটি মৌলিক কণিকা তবে এটি আধানবিহীন ।আধানবিহীন(neutral) হওয়ায় এর এই নাম দেয়া হয়েছে। নিউট্রন নিউক্লিয়াসের মধ্যে অবস্থান করে। ১৯৩২ সালে জেমস স্যাডউইক নিউট্রন আবিস্কার করেন। এর আসল ভর 1.675×10g যা পারমাণববিক ভর স্কেল অনুসারে 1.008665 amu। এর ভর ইলেকট্রনের ভরের প্রায় 1837 গুণের সমান। একে সাধারণত n দ্বারা প্রকাশ করা হয়ে থাকে। নিউট্রন পরমানুর কেন্দ্রে প্রোটনের সাথে যুক্ত থাকে । এই দুই কণিকার সম্মিলিত ভরকে পারমানবিক ভর বলা হয়ে থাকে ।"
] | [
"মৌলিক পদার্থ\nএ পর্যন্ত মোট ১১৮টি মৌল চিহ্নিত হয়েছে যার মধ্যে ৯৪টি প্রকৃতিতে পাওয়া যায়, বাকী ২৪টি কৃত্রিম উপায়ে তৈরী করা হয়। সাধারণত, একটি মৌলের পরমানুতে প্রোটন সংখ্যা নির্দিষ্ট বা একই মৌলের প্রতিটি পরমানুতে সমান সংখ্যা প্রোটন থাকে (অর্থাৎ, তাদের প্রত্যেকের পারমানবিক সংখ্যা একই এবং ভিন্ন ভিন্ন মৌলের পারমানবিক সংখ্যা ভিন্ন)। তাই, সাধারণভাবে প্রোটন সংখ্যা দ্বারা কোন মৌল চেনা যায়। তবে, একই মৌলের ভিন্ন প্রোটন সংখ্যা বিশিষ্ট পরমানুও রয়েছে, যাদেরকে আইসোটোপ বলে। পারমানবিক সংখ্যার উর্ধ্বক্রমানুসারে সাজালে, ১১৮ টি মৌলের প্রথম ৮০টির অন্তত একটি করে আইসোটোপের স্থায়ী রূপ রয়েছে (কয়েকটি ব্যতীক্রম ছাড়া), বাকী ৩৮টি মৌলের আইসোটোপ তেজষ্ক্রিয়, যা সময়ের সাথে ক্ষীয়মান।",
"পদার্থ\nকোয়ার্ক ও লেপটনগুলি মধ্যস্থতাকারী কিছু কণার সাহায্যে সংযুক্ত হয়ে প্রোটন ও নিউট্রন নামের যৌগিক কণা গঠন করে, যাদেরকে নিউক্লিয়ন বলা হয়। মধ্যস্থতাকারী কণিকগুলি চারটি মৌলিক নিউক্লীয় আন্তঃক্রিয়া বলের বাহক হিসেবে কাজ করে। সবল নিউক্লীয় বলের বাহক হিসেবে গ্লুঅন (ভরহীন), দুর্বল নিউক্লীয় বলের বাহক হিসেবে তিন ধরনের বোসন (ভরযুক্ত), নিউক্লীয় তড়িচ্চুম্বকীয় বলের বাহক হিসেবে ফোটন (ভরহীন) নামক কণা শনাক্ত করা হয়েছে। নিউক্লীয় মহাকর্ষ বলের জন্য কোয়ান্টাম পদার্থবিজ্ঞানে গ্রাভিটন নামক একটি ভরহীন কণা প্রস্তাব করা হলেও এর অস্তিত্ব এখনও প্রমাণিত হয়নি।",
"মৌলিক কণা\nকণা পদার্থবিজ্ঞানে মৌলিক কণা বা প্রাথমিক কণা হল সেসব কণা , যাদের ক্ষুদ্রতর কোন ভিত্তি বা গাঠনিক একক নেই অর্থাৎ এরা অন্য কোনো ক্ষুদ্রতর কণার সন্নিবেশে গঠিত হয়নি । যদি কোন মৌলিক কণার প্রকৃতপক্ষেই কোন ক্ষুদ্রতর একক না থাকে তবে তাকে মহাবিশ্বের গাঠনিক একক হিসাবে বিবেচনা করা হয় , যা থেকে অন্য সব কণা তৈরি হয়েছে । আদর্শ মডেল অনুযায়ী কোয়ার্ক , লেপটন এবং গেজ বোসনকে মৌলিক কণিকা হিসাবে বিবেচনা করা হয় ।",
"পদার্থ\nআধুনিক কণাভিত্তিক পদার্থবিজ্ঞানের মান তত্ত্বে পদার্থকে বিপুল সংখ্যক অণু ও পরমাণুর সমষ্টি হিসেবে কল্পনা করা হয়। পরমাণু হল মৌলিক পদার্থের রাসায়নিক ধর্মাবলি প্রদর্শনকারী ক্ষুদ্রতম একক। পরমাণুর অভ্যন্তরে ধনাত্মক আধানের প্রোটন ও আধানহীন নিউট্রন কণা নিয়ে গঠিত একটি পরমাণুকেন্দ্র বা নিউক্লিয়াস থাকে এবং একে ঘিরে \"আবর্তনশীল\" ঋণাত্মক আধানের ইলেকট্রন কণাসমূহের একটি \"মেঘ\" থাকে যা পরমাণুটির \"দখলকৃত স্থান\" বা আয়তন নির্ধারণ করে। পরমাণুর অভ্যন্তরের প্রোটন কণার সংখ্যা কোনও মৌলিক পদার্থের রাসায়নিক ধর্ম নির্ধারণ করে। পরমাণুগুলি একে অপরের সাথে তড়িৎযোজী, সমযোজী, সন্নিবেশ, ধাতব, ইত্যাদি রাসায়নিক বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে স্থিতিশীল মৌলিক বা যৌগিক অণু গঠন করে। অণুগুলি আবার বিভিন্ন ধরনের আন্তঃআণবিক আকর্ষণ বলের মাধ্যমে একে অপরের সাথে যুক্ত হয়ে ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য বা পরীক্ষাগারে পর্যবেক্ষণযোগ্য স্থূল পদার্থ তৈরি করে, যেগুলি বিভিন্ন অবস্থা বা দশায় বিরাজ করতে পারে (কঠিন, তরল, বায়বীয়, ইত্যাদি)।"
] | 47 |
ভারতীয় চলচ্চিত্র অভিনেত্রী রিচা গঙ্গোপাধ্যায়ের অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্রের নাম কী ? | [
"রকি (১৯৮১-এর চলচ্চিত্র)\nরকি হচ্ছে ১৯৮১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি হিন্দি চলচ্চিত্র যেটি ছিলো বলিউডের অন্যতম লিডিং অভিনেতা সঞ্জয় দত্ত'র জীবনের অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র যদিও ১৯৭১ সালে 'রেশমা অর শেরা' নামের চলচ্চিত্রে তিনি শিশুশিল্পী হিসেবে কিছুক্ষণের জন্য অভিনয় করেছিলেন কিন্তু এই \"রকি\" ছিলো তাঁর জীবনের প্রথম কর্ম যেটা তাকে বলিউডে ঢুকিয়ে দেয়। চলচ্চিত্রটি তাঁর পিতা সুনীল দত্ত পরিচালনা করেছিলেন, সঞ্জয় এর সঙ্গে নায়িকা হিসেবে অভিনয় করেছিলেন টিনা মুনিম। চলচ্চিত্রটির আরো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় ছিলেন রীনা রায়, আমজাদ খান, শক্তি কাপুর, রাখী এবং অরুণা ইরানী। অরুণা এই চলচ্চিত্রের জন্য সেরা সহ-অভিনেত্রী ক্যাটাগরিতে ফিল্মফেয়ার নমিনেশন পেয়েছিলেন যেটি ছিলো চলচ্চিত্রটির জন্য একমাত্র নমিনেশন।",
"রিচা গঙ্গোপাধ্যায়\nরিচা গঙ্গোপাধ্যায় (জন্ম নামঃ অন্তরা রিচা গঙ্গোপাধ্যায়, জন্মঃ ২০ মার্চ ১৯৮৬) একজন ভারতীয় চলচ্চিত্র অভিনেত্রী, মডেল এবং প্রাক্তন বিউটি কুইন। বিভিন্ন বাণিজ্যিক বিজ্ঞাপনে কাজের পর, ২০১০ সালে তেলেগু রাজনৈতিক সিনেমা “লিডার” –এ অভিনয়ের মাধ্যমে তার চলচ্চিত্র জগতে অভিষেক ঘটে। চলচ্চিত্রে তার অভিনয় শুরু করার পর থেকে তিনি অনেক বাণিজ্যিকভাবে সফল তেলেগু সিনেমায় অভিনয় করেছেন, যেমনঃ “মিরাপাক্কায়” এবং “মির্চী”। ২০১১ সালে তিনি প্রথমবারের মত তামিল সিনেমায় অভিনয় করেন, “মায়াক্কাম এন্না”, এই সিনেমায় তার অভিনয় অনেক ইতিবাচক মতামত অর্জন করে।"
] | [
"ইতি শ্রীকান্ত\nইতি শ্রীকান্ত (ইংরেজি নাম: Your Truly, Srikanta) অঞ্জন দাস পরিচালিত ২০০৪ সালের বাংলা পিরিয়ড ড্রামা চলচ্চিত্র। ছবিটি শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়-এর উপন্যাস \"শ্রীকান্ত\"(১৯১৭) অবলম্বনে নির্মিত। এটি ছিল সোহা আলি খান-এর প্রথম অভিনীত চলচ্চিত্র। অন্যান্য অভিনেতাদের মধ্যে, অপরাজিতা ঘোষ দাস ও প্রধান চরিত্রে আদিল হুসেইন-এরও এটি প্রথম বাংলা চলচ্চিত্র। হুসেনের কন্ঠ বাংলায় ডাবিং করেন সুজন মুখোপাধ্যায়। চলচ্চিত্রটি ২০০৪ সালে আই. এফ. এফ. আই-এ ভারতীয় প্যানোরামা বিভাগের একটি অংশ ছিল। ভারতের ৫২তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-এ, অভীক মুখোপাধ্যায় শ্রেষ্ঠ অডিওগ্রাফির জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারটি জিতে নেন। অঞ্জন দাস শ্রেষ্ঠ পরিচালক হিসেবে আনন্দলোক পুরস্কার পান।",
"খান আতাউর রহমান\nখান আতা ১৯৫৯ সালে পাকিস্তানি পরিচালক আখতার জং কারদার পরিচালিত উর্দু ভাষার চলচ্চিত্র \"জাগো হুয়া সাভেরা\"তে মূল ভূমিকাতে অভিনয়ের মাধ্যমে তার চলচ্চিত্র জীবন শুরু করেন। এতে তার বিপরীতে ছিলেন ভারতীয় অভিনেত্রী তৃপ্তি মিত্র। এ ছায়াছবির সহকারী পরিচালক ছিলেন জহির রায়হান। চলচ্চিত্র জগতে তিনি আনিস নামটি ব্যবহার করতেন। একই বছরে মুক্তি পায় তার অভিনীত প্রথম বাংলা ভাষার চলচ্চিত্র \"এ দেশ তোমার আমার\"। এই চলচ্চিত্রের পরিচালক ছিলেন এহতেশাম। ১৯৬০ সালে জহির রায়হানের সাথে গড়ে তোলেন লিটল সিনে সার্কেল। এতে পরের বছরগুলোতে তার জনপ্রিয়তা বেড়ে যায়। অভিনেতা হিসেবে তিনি কাজ করেছেন \"কখনো আসেনি\", \"যে নদী মরুপথে\", \"সোনার কাজল\", \"জীবন থেকে নেয়া\", \"সুজন সখী\" এর মতো সফল চলচ্চিত্রে।",
"দীপিকা পাড়ুকোন অভিনীত চলচ্চিত্রের তালিকা\nদীপিকা পাড়ুকোন একজন ভারতীয় অভিনেত্রী যিনি প্রধানত হিন্দি চলচ্চিত্রে অভিনয় করে থাকে। ২০০৫ সালে হিমেশ রেশমীয়ার সঙ্গীত ভিডিও \"নাম হ্যায় তেরা\" এ তাঁর প্রথম দেখা যায়। \"ঐশ্বরিয়া\" কন্নড চলচ্চিত্রে নামমাত্র চরিত্রে ২০০৬ সালে প্রথম অভিনয় করেন। পরবর্তীতে ২০০৭ সালে তার প্রথম বলিউড ব্লকবাস্টার চলচ্চিত্র \"ওম শান্তি ওম\" মুক্তি পায় যেখানে তিনি দ্বৈত চরিত্রে অভিনয় করেন এবং ফিল্মফেয়ার শ্রেষ্ঠ নারী অভিষেক পুরস্কার লাভ করেন। পাড়ুকোন \"লাভ আজ কাল\" (২০০৯) রোমান্স এবং \"লাফাঙ্গে পারিন্দে\" (২০১০) নাট্য চলচ্চিত্রে প্রধান ভূমিকায় অভিনয়ের জন্য প্রশংসা লাভ করেন। তবে তার রোমান্টিক কমেডি \"বচনা অ্যায় হাসিনো\" (২০০৮) এবং কমেডি \"হাউসফুল\" (২০১০) চলচ্চিত্রে তার অভিনয় নেতিবাচক মন্তব্য লাভ করে।",
"রিচা গঙ্গোপাধ্যায়\n২০১১ সালের তার প্রথম মুক্তিপ্রাপ্ত আকশনধর্মী সিনেমা হল “মীরাপাক্কাই”, যে সিনেমাতেও রবি তেজা এবং দেকাশ শেঠ প্রধান চরিত্র অভিনয় করেন। তার অভিনীত পূর্বের “লিডার” সিনেমায় তার অভিনয়ের সফলতা দেখে এই ছবির পরিচালক হরিশ শঙ্কর তার সাথে চুক্তিবদ্ধ হন। তিনি রিচাকে প্রধানত বিদেশে বসবাসরত ভারতীয় বংশোদ্ভুদ দীক্ষা নামের একটি চরিত্রে অভিনয়ের জন্য প্রস্তাব দেন। কিন্তু যখন তারা সংলাপ দেখার জন্য একত্রিত হন, তখন পরিচালক হরিশ সিদ্ধান্ত নেন যে রিচা “ভিনম্র – একজন চিরাচরিত ব্রাহ্মণ নারী” চরিত্রে অভিনয়ের যোগ্য। সিনেমাটি ইতিবাচক রিভিউ অর্জন করে এবং সমালোচকরা রিচার অভিনয়কে \"just about okay\" বলে বর্ণনা করে। তারপর রিচাকে পরে আরো দুইটি তামিল সিনেমায় অভিনয় করতে দেখা যায়; প্রথমটি “মায়াক্কাম এন্না” বিয়ের উপর ভিত্তি করে নির্মিত একটি নাটকীয় সিনেমা, অভিনেতা ধনুশ, পরিচালনা করেন সেলভারাঘাভান, এই ছবিটি অত্যধিক ইতিবাচক রিভিউ এবং প্রসংশা অর্জন করে। তারপর তাকে “শিলাবর্ষন” সিনেমার পাশাপশি ধরনী’র “অস্থি” সিনেমাতেও অভিনয় করতে দেখা যায়। যা কিনা, ২০১০ সালের হিন্দি সিনেমা “দাবাং” এর পুনঃনির্মিত সিনেমা। এই সিনেমায় তিনি নেদুভালী চরিত্র অভিনয় করেন, যা সমালোচকদের দ্বারা প্রসংশিত হয়।",
"কঙ্কনা সেন শর্মা\nতার চলচ্চিত্র জগতে অভিষেক ঘটে ইন্দিরা (১৯৮৩) সিনেমায় শিশু শিল্পী হিসেবে। প্রাপ্ত বয়স্ক অভিনেত্রী হিসেবে তার অভিষেক ঘটে বাংলা রোমাঞ্চকর সিনেমা “এক যে আছে কন্যা” (২০০০) সিনেমার মাধ্যমে। তিনি সকলের নজরে আসেন ইংরেজী-ভাষার সিনেমা “মিঃ এন্ড মিসেস আইয়ার” (২০০২) মাধ্যমে, যার পরিচালক ছিলেন তার মা, এবং এই ছবির জন্য তিনি সেরা অভিনেত্রী হিসেবে জাতীয় পুরষ্কার অর্জন করেন। নাটকীয় চলচ্চিত্র “পেইজ-থ্রি” (২০০৫) এর মাধ্যমে তার দর্শক কর্তৃক স্বীকৃত আরো বৃদ্ধি পায়, এবং তারপর থেকে তিনি অনেক সিনেমায় অভিনয় করেন, যার বেশিরভাগ ছবিতে বাণিজ্যিকভাবে সফল না হলেও তার অভিনয় আলোচনামূলক প্রশংসা অর্জন করে। তিনি পরপর দুইবার “ফিল্মফেয়ার সেরা সহ-অভিনেত্রী” পুরস্কার অর্জন করেন, এই দুইটি সিনেমা যথাক্রমে “ওমকারা” (২০০৬) এবং “লাইফ ইন এ... মেট্রো” (২০০৭)। তার পূর্বের অভিনীত সিনেমার জন্য তিনি সেরা সহ-অভিনেত্রীর জন্য দ্বিতীয় জাতীয় পুরস্কার অর্জন করেন।",
"রাশি খান্না\nরাশি খান্না (ইংরেজি: Raashi Khanna; জন্ম: ৩০ নভেম্বর ১৯৯০) হলেন একজন ভারতীয় অভিনেত্রী যিনি মূলত তেলুগু চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। তার অভিনীত প্রথম তেলুগু চলচ্চিত্র ছিলো \"উহালু গুসাগুসালাদে\" যেটি ২০১৪ সালে মুক্তি পায়যদিও ২০১৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত হিন্দি চলচ্চিত্র \"মাদ্রাস ক্যাফে\" ছিলো তার অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র। তেলুগু চলচ্চিত্র শিল্পের জনপ্রিয় অভিনেতা রবি তেজা এর সঙ্গে \"বেঙ্গল টাইগার\" চলচ্চিত্রে অসাধারণ অভিনয় করে তিনি প্রথম বক্স অফিস সফলতা পান এবং সমালোচকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।",
"নাগা চৈতন্য\nনাগা চৈতন্য আক্কিনেনি (জন্ম: ২৩ নভেম্বর ১৯৮৬) একজন ভারতীয় চলচ্চিত্র অভিনেতা যিনি তেলেগু সিনেমায় কাজ করেন ৷ ২০০৯ সালের চলচ্চিত্র \"জোশ\" -এর মাধ্যমে চলচ্চিত্র জগতে তার অভিষেক হয়, সিনেমাটি পরিচালনা করেন ভাসু ভার্মা এবং প্রযোজনা করেন দিল রাজু ৷ তার প্রথম চলচ্চিত্র মুক্তি পাওয়ার পূর্বেই তিনি ইন্দিরা প্রোডাকশনস্ এর সাথে তার ২য় চলচ্চিত্রে চুক্তিবদ্ধ হন, যেটা পরিচালনা করেন গৌতম মেনন ৷ ২০১০ সালে মুক্তি পায় তার (চৈতন্য) এবং সামান্থা অভিনীত চলচ্চিত্র \"ইয়ে মায়া চেসাভে\", যার সঙ্গে চৈতন্যর বাবা আক্কিনেনি নাগার্জুনার রোমান্টিক চলচ্চিত্র \"গীতাঞ্জলি\"র তুলনা চলে ৷ চৈতন্যর পরবর্তী মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র ছিল সুকুমার পরিচালিত \"১০০% লাভ\", যেখানে তার সহ-অভিনেত্রী ছিলেন তামান্না ৷ সিনেমাটি বক্স অফিসে ভালো সফলতা লাভ করে ৷ এই সিনেমার পর শীঘ্রই তার আরও দুটি ছবি যথাক্রমে \"ধাদা,\" এবং বেজাওয়াদা মুক্তি পায়, তবে সিনেমা দুটি তেমন সফলতা লাভ করতে পারেনি ৷ চৈতন্য \"অটোনগর সুরিয়া\" সিনেমাটিও আবির্ভূত হন ৷ ২০১৬ সালে তিনি দুটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন, প্রথমটি হলো \"প্রেমাম,\" যেখানে তার সহ-অভিনেত্রী ছিলেন শ্রুতি হসন এবং দ্বিতীয়টি হলো \"সাহাসাম স্বাসাগা সাগিপো\" ৷ দুটি চলচ্চিত্রই সমালোচকদের প্রশংসা অর্জন করে নেয় ৷ পরবর্তীকালে, ২০১৭ সালে, তিনি \"রারান্দই ভেদুকা চৌধাম\" নামের চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন, যেটি এখন পর্যন্ত তার ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ উপার্জিত চলচ্চিত্র ৷ ২০১৮ সালে, তিনি শৈলজা রেড্ডী আল্লুডু এবং সব্যসাচী নামক দুটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন ৷",
"প্রীতি জিনতা\n২০০০ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত তার অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র ছিল নাট্যধর্মী \"ক্যায়া কেহনা\", যা অপ্রত্যাশিতভাব বক্স অফিসে সফলতা লাভ করে। ছবিতে একক মাতা ও কিশোরী বয়সে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার বিষয় দেখানো হয়। জিন্টা দর্শকের নিকট আরও বেশির পরিচিতি লাভ করেন এবং চলচ্চিত্র সমালোচকদের নিকট থেকেও প্রশংসা অর্জন করেন। সামাজিক কুসংস্কারের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করা একক মাতা প্রিয়া বকশী চরিত্রে তার অভিনয়ের জন্য তিনি একাধিক পুরস্কারে মনোনীত হন, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার। \"ইন্ডিয়া টুডে\"র অনুপমা চোপড়া লিখেন জিন্টা হিন্দি চলচ্চিত্র অভিনয়শিল্পীদের নবপ্রজন্মের একজন যিনি চরিত্রের প্রথাগত দিক ভেঙ্গে বের হয়ে এসেছেন।"
] | 76 |
সংগীতে গতির তারতম্যের জন্য লয়কে কয়টি ভাগে ভাগ করা হয় ? | [
"তাল (সঙ্গীত)\nসঙ্গীতের গতিকে লয় বলে। গতির তারতম্যের জন্য লয়কে তিন ভাগে ভাগ করা যায় - ১) ধীরগতির সঙ্গীতের জন্য বিলম্বিত লয়, ২) দ্রুতগতির সঙ্গীতের জন্য দ্রুত লয় এবং ৩) মধ্যগতির সঙ্গীতের জন্য মধ্য লয়। মধ্য লয় বিলম্বিত লয়ের দ্বিগুণ ও দ্রুত লয়ের অর্ধেক গতির হয়ে থাকে। মাত্রা সঙ্গীতের লয় বা গতির দুরত্ব মাপার জন্য ব্যবহৃত হয়। প্রত্যেকটি মাত্রার মধ্যবর্তী ব্যবধান সমান হয়। কয়েকটি ছন্দোবদ্ধ মাত্রার সমষ্টি দিয়ে তৈরী হয় একটি তাল।",
"তাল (সঙ্গীত)\nতালের নির্দ্দিষ্ট সময়কালকে অবিচ্ছেদ্দ্য সমান গতিতে অতিক্রান্ত করার নাম লয়। লয় প্রধানত তিন প্রকার-০১. বিলম্বিত লয় ০২. মধ্যে লয় ০৩. দ্রুত লয়। তবে বিশেষজ্ঞ গণ মনে করেন লয় আট প্রকার। এ ছাড়াও মাত্রার ভগ্নাংশ দ্বারা গঠিত বহুপ্রকার লয় হতে পারে যেমন: আড়,কুয়ড়,বিয়াড় ইত্যাদি। তালের মোট সময়টিকে পরিমাপ করার জন্য যে ক্ষুদ্রতম একক ব্যবহার করে লয়কে নির্দ্দিষ্ট করা হয়, এক কথায় তাই মাত্রা।\nতাল হচ্ছে একটি নির্দ্দিষ্ট সময়কে নিদ্দিষ্ট ক্ষুদ্রভাগে ছন্দবদ্ধ ভাবে সাজিয়ে তাল যন্ত্রে বাদনের মধ্য দিয়ে তার পুনরাবৃত্তি ঘটানো। প্রকৃতিতে আমরা যা কিছু অবলোকন করি তার সবকিছুই ছন্দবদ্ধ ভাবে একটা নিদ্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ঘটে চলেছে অর্থাৎ সবই তালবদ্ধ। একারণে সব কিছুই আমাদের কাছে এত সুন্দর আর মনোরম বলে মনে হয়। আমরা রেলগাড়ীতে চড়লে এর প্রচন্ড শব্দের মাঝেও ঘুমিযে পড়ি কারণ এর চলার গতি ছন্দবদ্ধ ও এর গতি প্রায় সমান থাকে অথচ হঠাৎ ব্রেক কষলেই আমরা চমকে উঠি কারণ তখন চলার ছন্দ পতন ঘটে। তাই তাল হচ্ছে সঙ্গীতের প্রাণ যার বিচ্যুতি আমাদের পীড়ার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।\nআমাদের সঙ্গীত জগতে হাজারো তালের জন্ম হয়েছে আবার হারিয়েও গিয়েছে অনেক। তাল যন্ত্রও আছে হাজারো রকমের। এর সবগুলোই যে আমাদের জানতেই হবে তা নয়। প্রাথমিক ভাবে আমরা কিছুতালের সাথে যদি পরিচিত হতে পারি তবে তা আমাদের জ্ঞানের দূয়ার ধীরে ধীরে খুলে দিবে।"
] | [
"রাগ (সংগীত)\nশ্রী ও কল্যাণ —এই দুই পৃথক রাগের মিশ্রণে তৈরি হয়েছে শ্রী-কল্যাণ। মিশ্ররাগের নিয়ম অনুযায়ী শেষে যে রাগের নাম থাকে, রাগে তারই প্রাধান্য হয়। অর্থাৎ এক্ষেত্রে কল্যাণের প্রাধান্যই বেশি। কল্যাণ ঠাটের রাগ কল্যাণ। স্বরের বিচারে ইমনের খুব কাছাকাছি। ইমনে নিরেগ, কল্যাণে সারেগ —এই অঙ্গ ব্যবহার করা হয়। সন্ধের প্রসন্নতা এই রাগে স্পষ্ট। অন্যদিকে শ্রী রাগ বিকেল শেষ হয়ে সন্ধেয় প্রবেশের সময়কার রাগ। গোধূলির বিষণ্ণতা এই রাগে প্রকট। শ্রী শুনলে শূন্যতার অনুভূতি জাগে। এরই সঙ্গে যোগ হচ্ছে কল্যাণের প্রসন্নতা। এই দুইয়ে মিলে অপরূপ মাধুর্য শ্রীকল্যাণ রাগের মধ্যে। একই সঙ্গে দুরকম স্রোতের খেলা।\nকণ্ঠ ও যন্ত্র, দুই মাধ্যমেই এই রাগ শুনতে পাওয়া যায়. তবে কণ্ঠে শুনতেই বেশি ভালো লাগে.",
"ভাগ্য\nইংরেজি বিশেষ্য ভাগ্য প্রথম দেখা যায় ১৪৮০ এর দশকে। নিম্ন জার্মান (ডাচ বা ফরাসী ভাষায়) লাক(luk) হল গেলাক(geluck) এর সংক্ষিপ্ত রূপ (মধ্যম উচ্চ জার্মান gelücke) থেকে ধার করা হয়েছে। পুরানো স্লাভিক শব্দ লুকিজ (лукый) - নিয়তি দ্বারা নির্দেশ করা হয়েছিল এবং পুরাতন রাশিয়ান লাকজ(luchaj) (лучаи) দ্বারা ভাগ্য নির্দেশ করা হয়েছিল । এটি সম্ভবত একটি জুয়া খেলার মত ইংরেজিতে প্রবেশ করেছিল এবং জুয়া খেলার প্রেক্ষাপটে শব্দটি একটি লাইনের মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে; ভাগ্য হল ব্যক্তিগত ঘটনার সম্ভাবনা বুঝার একটি উপায়। ভাগ্যের তিনটি দিক রয়েছে যা সুযোগ বা সম্ভাবনার মাধ্যমে একে অন্য থেকে আলাদা করে থাকে।ভাগ্যের কিছু উদাহরণ:মধ্যযুগের শেষভাগে ভাগ্য গ্রহণের আগে পুরনো ইংরেজি ও মধ্য ইংরেজি শব্দ গতির সাথে \"সৌভাগ্য\" এর ধারণা প্রকাশ করেছিল (মধ্য ইংরেজি গতি(Spede), পুরনো ইংরেজি গতি(sped); গতির অর্থ \"সৌভাগ্য\" ছাড়াও \"সমৃদ্ধি, লাভ, প্রাচুর্য\" এর মত ব্যাপক অর্থ ছিল; এটি সম্ভাব্যতা বা সুযোগের ধারণার সাথে নয় বরং ভাগ্য বা ঐশ্বরিক সহায়তার সাথে সম্পর্কিত ; সাফল্যের একটি সহায়তাকারীকেও গতি বলা যেতে পারে, যেমন \"খ্রিস্ট আমাদের গতি হও\" (উইলিয়াম রবার্টসন, ফ্রাসেওলজিয়া সাধারণ, ১৬৯৩)।",
"বিষমতারা\nবিষমতারাকে দুইটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে।অনেক নক্ষত্রই, প্রকৃতপক্ষে সব নক্ষত্রেরই উজ্জ্বলতার তারতম্য দেখা যায়। এমনকি আমাদের সূর্যও প্রতি ১১ সৌরচক্রে একবার ০.১% উজ্জ্বলতার তারতম্য দেখা যায়।",
"গজল\nএ অংশও দুই ভাগে বিভক্ত: ১. রাগ পর্ব, ২. তাল পর্ব। রাগ পর্বে শৃঙ্গার রসের সহায়ক রাগগুলো গজল গানে ব্যবহৃত হয়। গজল গানে রাগের শুদ্ধতা বজায় থাকে না। কারণ গজলে কাব্য ভাব মুখ্য, রাগ ভাব গৌণ। তাল পর্বে সাধারণত গজল লঘু তালে নিবদ্ধ থাকে। গজল তালে নিবদ্ধ থাকলেও কোন কোন গজল গানকে আদ্যোন্তে অনিবদ্ধভাবে গাইতেও শোনা যায়। গজল মূলত একক কণ্ঠে গীত গান। একজন শিল্পীই গজল গান পরিবেশন করে থাকেন।",
"ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীত\nপন্ডিত বিষ্ণুনারায়ণ ভাতখন্ডে (১৮৬০-১৯৩৬) বিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে ভারতীয় উচ্চাঙ্গ শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের রাগ সমূহকে দশটি ঠাট বা গ্রুপে ভাগ করেছেন। এর আগে এগুলো বিভাজিত ছিল রাগ (পুরুষ), রাগিণী (স্ত্রী) এবং পুত্রা (সন্তান) হিসেবে। কেউ কেউ মনে করেন ভারতীয় উচ্চাঙ্গ শাস্ত্রীয় সঙ্গীতে সময় ও কাল নির্ভর রাগ রয়েছে প্রায় ৬,০০০ টি।",
"শূন্যস্থান\nএকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকরণ হল ম্যাকলিয়ড গেজ যা একটি জানা আয়তনের শূন্যস্থানকে বিচ্ছিন্ন করে,তরল কলামের উচ্চতা তারতম্যের সংখ্যাবৃদ্ধির জন্য একে সংকোচিত করে। ম্যাকলিয়ড গেজ থেকে নির্ধারণ করা যায় 10 টর (0.1 mPa) পর্যন্ত, যা বর্তমান প্রযুক্তির সঙ্গে সম্ভব চাপের সর্বনিম্ন সরাসরি পরিমাপ। অন্যান্য বায়ুশূন্য গেজে নিম্ন চাপ নির্ধারণ করা যায় কিন্তু শুধুমাত্র পরোক্ষভাবে অন্যান্য চাপ নিয়ন্ত্রিত বৈশিষ্ট্য দিয়ে। একটি সরাসরি পরিমাপ মাধ্যমে অতি সাধারণভাবে একটি ম্যাকলিয়ড গেজ থেকে এই পরোক্ষ পরিমাপ ক্রমাঙ্কন করা আবশ্যক।",
"সংহিতা\nপ্রতিটি বেদ চার ভাগে বিভক্ত। যেমন, সংহিতা (মন্ত্র ও আশীর্বচন), আরণ্যক (রীতিনীতি, অনুষ্ঠান, যজ্ঞ ও প্রতীকী-যজ্ঞ সংক্রান্ত শাস্ত্র), ব্রাহ্মণ (রীতিনীতি, অনুষ্ঠান ও যজ্ঞ বিষয়ে ব্যাখ্যা) এবং উপনিষদ্ (ধ্যান, দর্শন ও আধ্যাত্মিক জ্ঞান সংক্রান্ত আলোচনা শাস্ত্র)। সংহিতাকে বেদের ‘কর্মকাণ্ড’ (कर्म खण्ड, আচার-অনুষ্ঠান সংক্রান্ত বিভাগ) এবং উপনিষদ্গুলিকে ‘জ্ঞানকাণ্ড’ (ज्ञान खण्ड, জ্ঞান/আধ্যাত্মিকতা সংক্রান্ত বিভাগ) বলা হয়ে থাকে। আরণ্যক ও ব্রাহ্মণগুলিকে কেউ কেউ কর্মকাণ্ড, আবার কেউ কেউ জ্ঞানকাণ্ডের অন্তর্ভুক্ত করেছেন।",
"ভাবপ্রবণ গীতিকা\nসেন্টিমেন্টাল ব্যালেড সকল ধরনের মিউজিক শ্রেণীতেই পাওয়া যায়,পপ, কান্ট্রি, ফোক, রক,আর অ্যান্ড বি। এটা সাধারণত ধীর গতির ও লয়ের শ্রুতি মধুর ধরণের হয়ে থাকে। এই ধরণের গানে ধ্বনিতাত্বিক বাদ্যযন্ত্র গীটার, পিয়ানো, সেক্সোফোন এবং কোন কোন ক্ষেত্রে অর্কেস্ট্রা সেট ব্যবহার করা হয়। আধুনিক এবং মূলধারার ব্যালেডে সিন্থেসাইজার, ড্রামস এবং কিছু ক্ষেত্রে নৃত্য তাল ব্যবহার করা হয়।"
] | 51 |
জৈনধর্মের উদ্ভব কবে হয় ? | [
"জৈনধর্মের ইতিহাস\nজৈনধর্মের উৎসটি স্পষ্ট নয়। পাশ্চাত্য গবেষক হেলমুথ ফন গ্ল্যাসেন্যাপ লিখেছেন, খ্রিস্টপূর্ব ১ম সহস্রাব্দের ১ম শতাব্দীটিই জৈনধর্মের উৎসকালের সর্বাধিক সময়সীমা বলে ধরা যেতে পারে। তিনি প্রথম বাইশ জন তীর্থঙ্করকে পৌরাণিক চরিত্র বলে উল্লেখ করেছেন।",
"জৈন ধর্ম\nজৈনধর্মের উৎস অজ্ঞাত। জৈনধর্ম হল একটি অনন্তকালীন দর্শন। জৈন কালচক্র অনুসারে, কালচক্রের প্রত্যেক অর্ধে চব্বিশ জন বিশিষ্ট মানুষ তীর্থঙ্করের পর্যায়ে উন্নীত হন এবং মানুষকে মোক্ষের পথ প্রদর্শন করেন। তাই এঁদের বলা হয় মানুষের আধ্যাত্মিক সহায়ক। মহাবীরের পূর্বসূরী তথা ২৩তম তীর্থঙ্কর পার্শ্বনাথ ছিলেন একজন ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্ব। তিনি খ্রিস্টপূর্ব ৯ম-৭ম শতাব্দীর মধ্যবর্তী কোনো এক সময়ে জীবিত ছিলেন। আনুশাসনিক ধর্মগ্রন্থগুলিতে পার্শ্বনাথের অনুগামীদের উল্লেখ আছে। \"উত্তরাধ্যয়ন\" সূত্রের একটি কিংবদন্তিতে পার্শ্বনাথের শিষ্যদের সঙ্গে মহাবীরের শিষ্যদের সাক্ষাতের কথা আছে। এই সাক্ষাতের ফলে পুরনো ও নতুন জৈন শিক্ষাদর্শের মিলন ঘটেছিল।"
] | [
"ভিক্ষু\nআধ্যাত্মিকতার সবথেকে ঐকান্তিক রূপটি যেসকল ধর্মের মধ্যে দেখা যায়, জৈনধর্ম তাদের মধ্যে একটি; এটি পৃথিবীর সর্বপ্রাচীন ধর্মগুলির একটি। জৈনধর্মে উপবাস, যোগাভ্যাস, ধ্যান প্রভৃতি জটিল চালচলন এবং কঠোরতার চর্চাকে উৎসাহিত করা হয়। জৈনধর্ম অনুসারে, একজন মানুষের চরমতম লক্ষ্য হবে নির্বাণলাভ বা মোক্ষলাভ (অর্থাৎ সংসার থেকে এবং জন্ম ও পুনর্জন্মের হাত থেকে মুক্তি)। এই কারণে আত্মাকে হতে হবে কোনরকম আসক্তি অথবা অসংযম থেকে মুক্ত। এই মুক্তি কেবলমাত্র সাধু ও সাধ্বীদের দ্বারাই লাভ করা সম্ভব এবং এই কারণে তাঁরা পাঁচটি দীক্ষা নেন – অহিংসা, সত্যবাদিতা, অচৌর্য, অপরিগ্রহ এবং কৌমার্য।",
"জৈন ধর্ম\nএছাড়াও জৈনধর্মে মনের চারটি আবেগকে চিহ্নিত করা হয়: ক্রোধ, অহং, অসদাচরণ ও লোভ। জৈন ধর্মমতে, ক্ষমার মাধ্যমে ক্রোধকে, বিনয়ের মাধ্যমে অহংকারকে, সত্যাচরণের মাধ্যমে অসদাচরণকে এবং সন্তুষ্টির মাধ্যমে লোভকে জয় করার কথা বলা হয়েছে।\nজৈনধর্ম কোনো সৃষ্টিকর্তা বা ধ্বংসকর্তা ঈশ্বরের ধারণা গ্রহণ করে না। এই ধর্মমতে জগৎ নিত্য। জৈনধর্ম মনে করে, প্রত্যেক আত্মার মধ্যেই মোক্ষলাভ ও ঈশ্বর হওয়ার উপযুক্ত উপাদান রয়েছে। এই ধর্মমতে পূর্ণাত্মা দেহধারীদের বলা হয় ‘অরিহন্ত’ (বিজয়ী) এবং দেহহীন পূর্ণাত্মাদের বলা হয় সিদ্ধ (মুক্তাত্মা)। যে সকল অরিহন্ত অন্যদের মোক্ষলাভে সাহায্য করেন তাঁদের বলা হয় ‘তীর্থঙ্কর’। জৈনধর্মে উত্তর-অস্তিবাদী ধর্মমত মনে করা হয়। কারণ, এই ধর্ম মোক্ষলাভের জন্য কোনো সর্বোচ্চ সত্তার উপর নির্ভর করার কথা বলে না। তীর্থঙ্করেরা হলেন সহায় ও শিক্ষক, যিনি মোক্ষলাভের পথে সাহায্য করেন মাত্র। কিন্তু মোক্ষলাভের জন্য সংগ্রাম মোক্ষলাভে ইচ্ছুক ব্যক্তিকেই করতে হয়।\nজৈনধর্মে সন্ন্যাস প্রথাকে উৎসাহ দেওয়া হয় এবং সম্মান করা হয়। জৈন সন্ন্যাসী ও সন্ন্যাসিনীরা অত্যন্ত কঠোর ও পবিত্র জীবন যাপন করেন। তাঁরা জৈনধর্মের পঞ্চ মহাব্রত সম্পূর্ণত পালন করেন। তাঁদের স্থায়ী বাসস্থান বা বিষয়সম্পত্তি কিছুই নেই। দূরত্ব যাই হোক, তাঁরা খালি পায়ে হেঁটে যাতায়াত করেন। চতুর্মাস্যের চার মাস বাদে বছরের অন্যান্য সময় তাঁরা এখানে ওখানে ঘুরে বেড়ান। তাঁরা টেলিফোন বা বিদ্যুৎ ব্যবহার করেন না। তাঁরা রান্না করেন না। ভিক্ষা করে খান। তাঁরা সাধারণত মুখ ঢাকার জন্য একটি কাপড়ের খণ্ড রাখেন যাতে হাওয়ায় ভাসমান জীবাণুদের ক্ষতি না হয়। তাঁদের অধিকাংশই ঝাঁটার মতো দেখতে একটি জিনিস নিয়ে ঘোরেন। রায়োহরণ নামে এই ঝাঁটার মাধ্যমে তাঁরা তাঁদের সামনের রাস্তা ঝাঁট দিতে দিতে হাঁটেন। বসার আগেও তাঁরা বসার জায়গাটি ঝাঁট দিয়ে নেন, যাতে কোনো কীটপতঙ্গ তাঁদের চাপে মারা না যায়।",
"জৈন ধর্ম\nঅপরিগ্রহ হল জৈনধর্মের তৃতীয় প্রধান আদর্শ। ‘অপরিগ্রহ’ বলতে নির্লোভ হওয়া, অপরের দ্রব্য না নেওয়া ও জাগতিক কামনাবাসনা থেকে দূরে থাকাকে বোঝায়। জৈনরা যতটুকু প্রয়োজনীয়, তার চেয়ে বেশি নেওয়ার পক্ষপাতী নন। দ্রব্যের মালিকানা স্বীকৃত। তবে দ্রব্যের প্রতি আসক্তিশূন্যতা শিক্ষা দেওয়া হয়। জৈন ধর্মাবলম্বীরা অপ্রয়োজনীয় জিনিস সংগ্রহ ও যা আছে তার প্রতি আসক্তিশূন্য হবে – এই হল জৈনধর্মের শিক্ষা। জৈনধর্ম মনে করে তা না করলে দ্রব্যের প্রতি অধিক আসক্তির বশে ব্যক্তি নিজের ও অপরের ক্ষতিসাধন করতে পারেন।",
"জৈনধর্মে ঈশ্বর\nসিদ্ধত্ব হল সকল আত্মার সর্বোচ্চ লক্ষ্য। অসংখ্য আত্মা সিদ্ধ হয়েছেন এবং আরও অসংখ্য আত্মা সিদ্ধ হবেন। জৈনধর্ম অনুসারে, ঈশ্বরত্ব কয়েকজন সর্বজ্ঞ ও শক্তিমান সত্ত্বার একচেটিয়া অধিকার নয়। সঠিক ধারণা, জ্ঞান ও আচরণের মাধ্যমে সকল আত্মা আত্মস্বরূপ উপলব্ধি করে সিদ্ধত্ব অর্জন করতে পারেন। এই অনন্ত আনন্দের অবস্থা লাভ করে এবং সকল কামনা ধ্বংস করে আত্মা আর জাগতিক বিষয় নিয়ে চিন্তা করেন না এবং ব্রহ্মাণ্ডের কাজকর্মেও হস্তক্ষেপ করেন না। কারণ, কোনও ধরনের ক্রিয়াকর্ম বা কামনা পুনরায় কর্মের বন্ধনে আত্মাকে আবদ্ধ করে এবং সেক্ষেত্রে মুক্তি লুপ্ত হয়।",
"বিভিন্ন ধর্ম\nজৈনধর্ম (সংস্কৃত: जैन धर्म) প্রাচীন ভারতে প্রবর্তিত একটি ধর্মমত। বর্তমানে বিশ্বের নানা দেশে এই ধর্মমতাবলম্বীদের দেখা যায়। জৈনধর্মের মূল বক্তব্য হল সকল জীবের প্রতি শান্তি ও অহিংসার পথ গ্রহণ। জৈন দর্শন ও ধর্মানুশীলনের মূল কথা হল দৈব চৈতন্যের আধ্যাত্মিক সোপানে স্বচেষ্টায় আত্মার উন্নতি। যে ব্যক্তি বা আত্মা অন্তরের শত্রুকে জয় করে সর্বোচ্চ অবস্থা প্রাপ্ত হন তাঁকে \"জিন\" (জিতেন্দ্রিয়) আখ্যা দেওয়া হয়। প্রাচীন ধর্মগ্রন্থগুলিতে জৈনধর্মকে \"শ্রমণ ধর্ম\" বা নির্গ্রন্থদের ধর্মও বলা হয়েছে। কথিত আছে, তীর্থঙ্কর নামে চব্বিশ জন মহাজ্ঞানী কৃচ্ছ্বসাধকের একটি ধারা পর্যায়ক্রমে জৈনধর্মকে পুনরুদ্ধার করেছিলেন। এঁদের মধ্যে ত্রাবিংশ তীর্থঙ্কর ছিলেন পার্শ্বনাথ (খ্রিষ্টপূর্ব নবম শতাব্দী) ও সর্বশেষ তীর্থঙ্কর ছিলেন মহাবীর (খ্রিষ্টপূর্ব ষষ্ঠ শতাব্দী)। আধুনিক বিশ্বে জৈনধর্মাবলম্বীদের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে অনেক কম হলেও এই ধর্ম বেশ প্রভাবশালী। ভারতে জৈন ধর্মবলম্বীদের সংখ্যা প্রায় ১০,২০০,০০০। এছাড়া উত্তর আমেরিকা, পশ্চিম ইউরোপ, দূরপ্রাচ্য, অস্ট্রেলিয়া ও বিশ্বের অন্যত্রও অভিবাসী জৈনদের দেখা মেলে।\nজৈনরা প্রাচীন \"শ্রমণ\" অর্থাৎ, কৃচ্ছ্বসাধনার ধর্মকে আজও বহন করে নিয়ে চলেছেন। ভারতের অপরাপর ধর্মমত, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে তাঁর প্রভাব বিশেষভাবে লক্ষিত হয়। শিক্ষাক্ষেত্রে বৃত্তিদানের একটি প্রাচীন প্রথা জৈনদের মধ্যে আজও বিদ্যমান; এবং ভারতে এই সম্প্রদায়ের সাক্ষরতার হার অত্যন্ত উচ্চ। শুধু তাই নয়, জৈন গ্রন্থাগারগুলি দেশের প্রাচীনতম গ্রন্থাগারও বটে।",
"জৈনধর্মের ইতিহাস\n১৮৪৮ সালে আমেদাবাদে শেঠ হট্ঠিসিংহ ১৫শ তীর্থঙ্কর ধর্মনাথের একটি মন্দির নির্মাণ করান। ব্রিটিশ যুগেও ভারতে জৈনদের সংখ্যা কমতে থাকে। জৈন গৃহস্থরা হিন্দুধর্মে ধর্মান্তরিত হতে থাকেন। যাঁরা ধর্মান্তরিত হননি, তাঁরাও হিন্দুধর্মের অনুষ্ঠান পালন করতে থাকেন এবং হিন্দু দেবদেবীদের পূজা জৈনধর্মে গৃহীত হয়। জৈন সন্ন্যাসী সম্প্রদায় এতে বিপদ সংকেত দেখেন এবং জৈনধর্ম পুনরুজ্জীবনের চেষ্টা করেন। শ্বেতাম্বর তপ গচ্ছের বিজয়ানন্দ সূরি (১৮৩৭-১৮৯৭) এবং বিজয় ধর্ম সূরি (১৮৬৮-১৯২২) ব্রিটিশ শাসনে জৈনধর্ম প্রচারে বিশেষ ভূমিকা গ্রহণ করেছিলেন।",
"জৈন ধর্ম\nজীবনের ধরন ও ও অদৃশ্য জীবন সহ জীবনের আকৃতি সম্পর্কে জৈনদের ধারণা অত্যন্ত বিস্তারিত। জৈন ধর্মমতে, হিংসার পিছনে উদ্দেশ্য ও আবেগগুলি কাজের থেকেও বেশি গুরুত্বপূর্ণ। যেমন, যদি কেউ অযত্নের বশে কোনো জীবিত প্রাণীকে হত্যা করে এবং পরে তার জন্য অনুতাপ করে তবে, কর্মবন্ধন কমে আসে। অন্যদিকে ক্রোধ, প্রতিশোধ ইত্যাদি আবেগের বশে হত্যা করা গুরুতর অপরাধ বলে বিবেচিত হয়। ‘ভাব’ অর্থাৎ আবেগগুলি কর্মবন্ধনের কারণ হিসেবে বিবেচিত হয়। কোনো সৈন্য আত্মরক্ষার জন্য কাউকে হত্যা করছে এবং কেউ ঘৃণা বা প্রতিশোধের বশে কাউকে হত্যা করছে – এই দুই হিংসার ধরন সম্পূর্ণ আলাদা।",
"জৈন ধর্ম\nজৈনদের উৎসবে সন্ন্যাসীদের উপস্থিতি বাধ্যতামূলক নয়। এঁরা পুরোহিত নন। যদিও কোনো কোনো সম্প্রদায়ে এমন একজন পূজারিকে বিশেষ দৈনিক অনুষ্ঠানগুলি ও মন্দিরের অন্যান্য পৌরোহিত্যকর্মের জন্য নিযুক্ত করা হয়, যিনি নিজে জৈন নন।\nজৈনরা কোনো সুবিধা বা পার্থিব চাহিদা পূরণ অথবা পুরস্কারের আশায় আবেগশূন্য দেবতাদের কাছে প্রার্থনা করেন না। তাঁরা প্রার্থনা করেন কর্মবন্ধন নাশ ও মোক্ষলাভের জন্য। ‘বন্দেতদ্গুণলব্ধায়ে’ (সেই দেবতাদের কাছে সেই গুণাবলির কামনায় আমরা প্রার্থনা করি) – জৈনদের এই প্রার্থনা বাক্যের মাধ্যমে তাঁদের প্রার্থনার মূল কথাটি বোঝা যায়।\nনবকার মন্ত্র হল জৈনধর্মের একটি মৌলিক প্রার্থনা। এটি যে কোনো সময় পাঠ করা যায়। দেবত্ব অর্জনের জন্য সর্বোচ্চ আধ্যাত্মিক গুণগুলিকে এই মন্ত্রের দ্বারা উপাসনা করা হয়। এই মন্ত্রে কোনো ব্যক্তিবিশেষের নাম নেই। জৈনধর্মে পূজা বা প্রার্থনার উদ্দেশ্য হল জাগতিক কামনা ও বন্ধনকে ধ্বংস করা এবং য়াত্মার মোক্ষ অর্জন।",
"জৈনধর্মের ইতিহাস\n৪৫৪ খ্রিস্টাব্দে জৈন শাস্ত্র রচনার জন্য বল্লভী সভার আয়োজন করা হয়। দিগম্বর সম্প্রদায় এই শাস্ত্রগুলিকে অপ্রামাণিক বলে প্রত্যাখ্যান করে। জৈন সন্ন্যাসী সিলুঙ্গ সূরি যাদব রাজবংশের রাজা বনরাজকে (৭২০-৭৮০ খ্রিস্টাব্দ) লালনপালন করেছিলেন। চালুক্য রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা মূলরাজ নিজে জৈন না হলেও একটি জৈন মন্দির নির্মাণ করান। ভীমের (১০২২-১০৬৪ খ্রিস্টাব্দ) রাজত্বকালে বিমল নামে এক জৈন গৃহস্থ আবু পর্বতের চূড়ায় অনেকগুলি মন্দির নির্মাণ করিয়েছিলেন। জৈন সন্ন্যাসী হেমচন্দ্র (জন্ম১০৮৮ খ্রিস্টাব্দ) আট বছর বয়সে সন্ন্যাসী দেবচন্দ্র কর্তৃক দীক্ষিত হন। তিনি ছিলেন একজন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব। গুজরাতে জৈনধর্মের প্রসারে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করেন। হেমচন্দ্র সোলাঙ্কি রাজবংশের রাজা কুমারপালকে জৈনধর্মে ধর্মান্তরিত করেছিলেন। যদিও কুমারপালের ভ্রাতুষ্পুত্র তথা উত্তরাধিকারী অজয়পাল ছিলেন শৈব। তিনি জৈনদের দমন করেন।"
] | 55 |
বনবিবি বা বনদেবী বা ব্যাঘ্রদেবী কি আসলে লৌকিক দেবী ? | [
"বনবিবি\nবনবিবি বা বনদেবী বা ব্যাঘ্রদেবী একইসাথে হিন্দু ধর্মের দেবী ও কিছু কিছু বনবাসী মুসলমানদের পীরানি। সুন্দরবনের বাংলাদেশ ও ভারতীয় অংশ ও এর আশেপাশের এলাকার মধু আহরণকারী ও কাঠুরে জনগোষ্ঠী বাঘের আক্রমণ হতে রক্ষা পেতে বনবিবির পূজো করেন। এ কথা প্রচলিত আছে যে, নিষ্ঠুর রাজা দক্ষিণরায় (রায়মণি) হিংস্র বাঘের ছদ্মবেশে মানুষের উপর হামলা করেন। তার পিতার নাম ইব্রাহীম ও মাতার নাম গুলালবিবি।",
"বনবিবি\nসুন্দরবন অঞ্চলের লোকায়ত দেবী যিনি হিন্দু মুসলমান নির্বিশেষে পূজিত হন। মধু সংগ্রাহক, কাঠুরে, মৎসজীবী মানুষের দেবী বনবিবি, বাঘের তথা দক্ষিণ রায়ের হাত থেকে তাদের রক্ষা করবেন এই বিশ্বাস প্রচলিত। ইতিহাসবিদ সতীশ চন্দ্র মিত্রের যশোহর-খুলনার ইতিহাস বইয়ের তথ্য অনুযায়ী, ১৫০০ সালের কাছাকাছি সময়ে সুন্দরবন এলাকায় দক্ষিণ রায়, বণিক ধোনাই ও মোনাই এবং গাজীর অস্তিত্ব পাওয়া যায়। বনবিবি ইব্রাহিম (মতান্তরে বেরাহিম) নামে এক আরবদেশির কন্যা। ইব্রাহিমের স্ত্রী গুলাল বিবি সতিনের প্ররোচনায় সুন্দরবনে পরিত্যক্ত হন। সেখানে বনবিবির জন্ম। দক্ষিণ রায় যশোরের ব্রাহ্মণনগরের রাজা মুকুট রায়ের অধীন ভাটির দেশের রাজা ছিলেন। তাঁর সঙ্গে বনবিবির একাধিক যুদ্ধ হয়। দক্ষিণ রায় পরাজিত হয়ে সন্ধি করেন। দক্ষিণ রায়ের পরাজয় অর্থে বাঘ বা অপশক্তির পরাজয়। বাংলাদেশ ও ভারতের সুন্দরবনের বহু অঞ্চলে লোকসংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলেন দেবী বনবিবি। দেবীর পীরমাহাত্ম্যবিষয়ক কাব্যের নাম বনবিবির জহুরানামা। এই আখ্যান মঙ্গলকাব্যের ঢঙে রচিত হলেও আল্লাহ-রসুল, মক্কা, পীর-পীরানি যুক্ত আছে। অরণ্যচারী মানুষের বিশ্বাস, ভক্তি ও জীবনধারা এতে বর্ণিত হয়েছে।"
] | [
"চাঁদবিবি\nচাঁদবিবি হলেন একজন হিন্দু লৌকিক দেবী। সাধারণত বাংলায় তাঁর ছয় বোন ওলাবিবি (কলেরার দেবী), আজগাইবিবি, ঝোলাইবিবি ও আসানবিবির সঙ্গে তাঁর পূজা হয়। কোনো কোনো আধুনিক গবেষকের মতে ‘সাতবিবি’ নামে পরিচিত এই সাত দেবী আসলে হিন্দু সপ্তমাতৃকার (ব্রাহ্মী, মাহেশ্বরী, বৈষ্ণবী, বারাহী, ইন্দ্রাণী ও অন্যান্য) রূপান্তর। তবে সপ্তমাতৃকা ও সাতবিবির মধ্যে কোনো সাদৃশ্য নেই বললেই চলে। ভারতে সাত দেবীর পূজা যে সুপ্রাচীন কাল থেকে চলে আসছে, তার প্রমাণ অধুনা পাকিস্তানের সিন্ধুপ্রদেশের অন্তর্গত সিন্ধু সভ্যতার মহেঞ্জোদাড়ো শহরের টেরাকোটা সিলমোহরে দেখা যায়। এই সিলমোহরে সাতজন নারীকে একসঙ্গে দণ্ডায়মান অবস্থায় দেখা যায়।",
"বাহাদাবিবি\nবাহাদাবিবি হলেন একজন হিন্দু লৌকিক দেবী। সাধারণত বাংলায় তাঁর ছয় বোন ওলাবিবি (কলেরার দেবী), আজগাইবিবি, চাঁদবিবি,ঝোলাইবিবি ও আসানবিবির সঙ্গে তাঁর পূজা হয়। কোনো কোনো আধুনিক গবেষকের মতে ‘সাতবিবি’ নামে পরিচিত এই সাত দেবী আসলে হিন্দু সপ্তমাতৃকার (ব্রাহ্মী, মাহেশ্বরী, বৈষ্ণবী, বারাহী, ইন্দ্রাণী ও অন্যান্য) রূপান্তর। তবে সপ্তমাতৃকা ও সাতবিবির মধ্যে কোনো সাদৃশ্য নেই বললেই চলে। ভারতে সাত দেবীর পূজা যে সুপ্রাচীন কাল থেকে চলে আসছে, তার প্রমাণ অধুনা পাকিস্তানের সিন্ধুপ্রদেশের অন্তর্গত সিন্ধু সভ্যতার মহেঞ্জোদাড়ো শহরের টেরাকোটা সিলমোহরে দেখা যায়। এই সিলমোহরে সাতজন নারীকে একসঙ্গে দণ্ডায়মান অবস্থায় দেখা যায়।",
"আজগাইবিবি\nআজগাইবিবি হলেন একজন হিন্দু লৌকিক দেবী। সাধারণত বাংলায় তাঁর ছয় বোন ওলাবিবি (কলেরার দেবী), চাঁদবিবি,ঝোলাইবিবি ও আসানবিবির সঙ্গে তাঁর পূজা হয়। কোনো কোনো আধুনিক গবেষকের মতে ‘সাতবিবি’ নামে পরিচিত এই সাত দেবী আসলে হিন্দু সপ্তমাতৃকার (ব্রাহ্মী, মাহেশ্বরী, বৈষ্ণবী, বারাহী, ইন্দ্রাণী ও অন্যান্য) রূপান্তর। তবে সপ্তমাতৃকা ও সাতবিবির মধ্যে কোনো সাদৃশ্য নেই বললেই চলে। ভারতে সাত দেবীর পূজা যে সুপ্রাচীন কাল থেকে চলে আসছে, তার প্রমাণ অধুনা পাকিস্তানের সিন্ধুপ্রদেশের অন্তর্গত সিন্ধু সভ্যতার মহেঞ্জোদাড়ো শহরের টেরাকোটা সিলমোহরে দেখা যায়। এই সিলমোহরে সাতজন নারীকে একসঙ্গে দণ্ডায়মান অবস্থায় দেখা যায়।",
"আসানবিবি\nআসানবিবি হলেন একজন লৌকিক দেবী। মূলত দক্ষিণ পশ্চিমবঙ্গ ও দক্ষিণ বাংলাদেশে আসানবিবির পূজা হয়। আসানবিবির সঙ্গে তাঁর ছয় বোনের পূজা হয়। এঁরা হলেন ওলাবিবি (কলেরার দেবী), আজগাইবিবি, চাঁদবিবি, বাহাদাবিবি, ঝেতুনবিবি ও ঝোলাইবিবি। কোনো কোনো আধুনিক গবেষকের মতে ‘সাতবিবি’ নামে পরিচিত এই সাত দেবী আসলে হিন্দু সপ্তমাতৃকার (ব্রাহ্মী, মাহেশ্বরী, বৈষ্ণবী, বারাহী, ইন্দ্রাণী ও অন্যান্য) রূপান্তর। তবে সপ্তমাতৃকা ও সাতবিবির মধ্যে কোনো সাদৃশ্য নেই বললেই চলে। ভারতে সাত দেবীর পূজা যে সুপ্রাচীন কাল থেকে চলে আসছে, তার প্রমাণ অধুনা পাকিস্তানের সিন্ধুপ্রদেশের অন্তর্গত সিন্ধু সভ্যতার মহেঞ্জোদাড়ো শহরের টেরাকোটা সিলমোহরে দেখা যায়। এই সিলমোহরে সাতজন নারীকে একসঙ্গে দণ্ডায়মান অবস্থায় দেখা যায়।",
"ঝেতুনবিবি\nঝেতুনবিবি হলেন একজন হিন্দু লৌকিক দেবী। সাধারণত বাংলায় তাঁর ছয় বোন ওলাবিবি (কলেরার দেবী), আজগাইবিবি, চাঁদবিবি, বাহাদাবিবি, ঝোলাইবিবি ও আসানবিবির সঙ্গে তাঁর পূজা হয়। কোনো কোনো আধুনিক গবেষকের মতে ‘সাতবিবি’ নামে পরিচিত এই সাত দেবী আসলে হিন্দু সপ্তমাতৃকার (ব্রাহ্মী, মাহেশ্বরী, বৈষ্ণবী, বারাহী, ইন্দ্রাণী ও অন্যান্য) রূপান্তর। তবে সপ্তমাতৃকা ও সাতবিবির মধ্যে কোনো সাদৃশ্য নেই বললেই চলে। ভারতে সাত দেবীর পূজা যে সুপ্রাচীন কাল থেকে চলে আসছে, তার প্রমাণ অধুনা পাকিস্তানের সিন্ধুপ্রদেশের অন্তর্গত সিন্ধু সভ্যতার মহেঞ্জোদাড়ো শহরের টেরাকোটা সিলমোহরে দেখা যায়। এই সিলমোহরে সাতজন নারীকে একসঙ্গে দণ্ডায়মান অবস্থায় দেখা যায়।",
"ঝোলাইবিবি\nঝোলাইবিবি হলেন বাংলার একজন হিন্দু লৌকিক দেবী। তাঁকে তাঁর ছয় বোন ওলাবিবি (কলেরার দেবী), আজগাইবিবি, চাঁদবিবি, বাহাদাবিবি, ঝেতুনবিবি ও আসানবিবির সঙ্গে পূজা করা হয়। কোনো কোনো আধুনিক গবেষকের মতে ‘সাতবিবি’ নামে পরিচিত এই সাত দেবী আসলে হিন্দু সপ্তমাতৃকার (ব্রাহ্মী, মাহেশ্বরী, বৈষ্ণবী, বারাহী, ইন্দ্রাণী ও অন্যান্য) রূপান্তর। তবে সপ্তমাতৃকা ও সাতবিবির মধ্যে কোনো সাদৃশ্য নেই বললেই চলে। ভারতে সাত দেবীর পূজা যে সুপ্রাচীন কাল থেকে চলে আসছে, তার প্রমাণ অধুনা পাকিস্তানের সিন্ধুপ্রদেশের অন্তর্গত সিন্ধু সভ্যতার মহেঞ্জোদাড়ো শহরের টেরাকোটা সিলমোহরে দেখা যায়। এই সিলমোহরে সাতজন নারীকে একসঙ্গে দণ্ডায়মান অবস্থায় দেখা যায়।",
"বাঙালি বৌদ্ধ দেবদেবী\nচর্যাপদে বৌদ্ধ দেবতা হিসেবে উল্লেখ্য রয়েছে। তিনি হিন্দুধর্মের শিব বা মহাকালের অনুরূপ দেবতা। তাঁর যে বর্ণনা পাওয়া গেছে গাত্রবর্ন নীল, লম্বোদর, ক্রোধাধিপাতি, কটিতে ব্যাঘ্র চর্ম, ত্রিনয়ন। নাগকুণ্ডল, নাগহার তাঁর প্রসাধন। তিনি প্রেতে আরূঢ় হয়ে আছেন।\nচর্যাপদে উল্লেখিত বৌদ্ধদেবী, হিন্দুধর্মের কালীর অনুরূপ দেবী। তিনি তান্ত্রিক বৌদ্ধদেবী হিসেবে প্রসিদ্ধ তাঁর ধ্যান মন্ত্রে উল্লেখ রয়েছে যে তিনি যোগিনী পরিবেষ্টিত রয়েছেন। তিনি জিহ্বা বের করে ভয়ঙ্কর রূপ - \"লোল জিহ্বা ভয়ঙ্করা\"। তিনি দিগম্বরী, মুক্তকেশী, কণ্ঠে নরমুন্ড মালা, শিরে সিঁদুর, নয়নে কজ্জল। ত্রিনয়না তিনি। হাতে খড়্গ ও করোটি। তিনি এক পায়ে হেরুক-বজ্ররায়কে চেপে ধরেছেন। উল্লেখ তিনি বৌদ্ধদেবতা হেরুকের গৃহিণী। তিনি শ্মশানবাসিনী অক্ষয় দুঃখ দূর করেন।\nবৌদ্ধদেবী শ্রীউগ্রতারা সারাসরি হিন্দুধর্মে গৃহীত হয়েছে। তিনি বৌদ্ধতন্ত্রের দেবী আবার অন্যদিকে হিন্দুতন্ত্রের দশমহাবিদ্যার দ্বিতীয় বিদ্যা। গাত্রবর্ন নীল, বস্ত্র বলতে ব্যাঘ্রাম্বর, ত্রিনয়ন। তিনি চতুর্ভুজা, হাতে খড়্গ, নরকরোটি, কপাল ও নীলপদ্ম। শব তাঁর পায়ে দলিত, তিনি লম্বোদর। পশ্চিমবঙ্গের তারাপীঠ ও বর্গভীমা তাঁর প্রসিদ্ধ মন্দির।",
"ভোগ শ্রীনিবাস\n৬১৪ খ্রিস্টাব্দে পল্লব রানি সামাবাই (যিনি কদবন-পেরুনদেবী নামেও পরিচিত) মন্দিরে এই বিগ্রহটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। সামাবাই মন্দিরকে ভূসম্পত্তি ও সোনাও দান করেছিলেন। এই বিগ্রহটি ধ্রুব বেরার একটি যথাযথ প্রতিরূপ। শুধুমাত্র এই বিগ্রহে শঙ্খ ও চক্রদুটি স্থায়ী। বিগ্রহের ‘পীঠমে’ (বেদী) দেবতার পায়ের নিচে একটি যন্ত্র রয়েছে। এই যন্ত্রটিতে দুটি পরস্পর-বিরোধী অভিমুখে স্থাপিত সমবাহু ত্রিভূজ দেখা যায়। একটি রেশমি সুতোর মাধ্যমে এই বিগ্রহটি ধ্রুব বেরার সঙ্গে স্থায়ীভাবে বদ্ধ আছে। বিগ্রহটিকে যখন ধ্রুব বেরার প্রতিনিধি করে গর্ভগৃহের বাইরে আনা হয়, তখনও সুতোটি আটকানো থাকে। এর পর সেটিকে আবার সোনা দিয়ে আটকানো হয়।"
] | 1 |
রামকৃষ্ণ পরমহংসের বাবার নাম কী ? | [
"রামকৃষ্ণ পরমহংস\nপশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার আরামবাগ মহকুমায় অবস্থিত কামারপুকুর গ্রামে ১৮৩৬ সালে এক দরিদ্র ধর্মনিষ্ঠ রক্ষণশীল ব্রাহ্মণ পরিবারে রামকৃষ্ণ পরমহংসের জন্ম হয়। তিনি পিতা ক্ষুদিরাম চট্টোপাধ্যায় এবং মা চন্দ্রমণি দেবীর চতুর্থ ও শেষ সন্তান। কথিত আছে, শ্রীরামকৃষ্ণের জন্মের পূর্বে তাঁর পিতামাতার সম্মুখে বেশ কয়েকটি অলৌকিক ঘটনা ঘটেছিল। সন্তানসম্ভবা চন্দ্রমণি দেবী দেখেছিলেন শিবলিঙ্গ থেকে নির্গত একটি জ্যোতি তাঁর গর্ভে প্রবেশ করছে। তাঁর জন্মের অব্যবহিত পূর্বে গয়ায় তীর্থভ্রমণে গিয়ে ক্ষুদিরাম গদাধর বিষ্ণুকে স্বপ্নে দর্শন করেন। সেই কারণে তিনি নবজাতকের নাম রাখেন গদাধর।"
] | [
"শ্রীরামকৃষ্ণ দর্শনম্\nরামকৃষ্ণ পরমহংসের সমগ্র জীবনকাহিনীটিই \"শ্রীরামকৃষ্ণ দর্শনম্\" ছবিতে তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। ছবির শুরুতে দেখানো হয়েছে তদনীন্তন ব্রিটিশ বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির হুগলি জেলার অন্তঃপাতী কামারপুকুর গ্রামে গদাধর চট্টোপাধ্যায়ের (রামকৃষ্ণ পরমহংসের পূর্বাশ্রমের নাম) জন্ম। এরপর আধ্যাত্মিকতার প্রতি তাঁর আকর্ষণ ও ভাবতন্ময়তা, প্রথাগত শিক্ষাব্যবস্থাকে প্রত্যাখ্যান করে রামায়ণ, মহাভারত ও পুরাণ প্রভৃতি অবলম্বনে নির্মিত যাত্রাপালা দেখে ধর্মশিক্ষা, যৌবনে কলকাতায় এসে দক্ষিণেশ্বর কালীবাড়িতে পৌরহিত্য গ্রহণ এবং কিছুকাল পরেই পৌরোহিত্য ছেড়ে সাধনায় মনোনিবেশ ও সিদ্ধিলাভের বিষয়টি ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।",
"রামকৃষ্ণ পরমহংস\nরামকৃষ্ণ পরমহংস (১৮ই ফেব্রুয়ারি, ১৮৩৬ – ১৬ই আগস্ট, ১৮৮৬; পূর্বাশ্রমের নাম গদাধর চট্টোপাধ্যায়) ঊনবিংশ শতকের এক প্রখ্যাত ভারতীয় বাঙালি যোগসাধক, দার্শনিক ও ধর্মগুরু। তাঁর প্রচারিত ধর্মীয় চিন্তাধারায় রামকৃষ্ণ মিশন প্রতিষ্ঠা করেন তাঁর প্রধান শিষ্য স্বামী বিবেকানন্দ। তাঁরা উভয়েই বঙ্গীয় নবজাগরণের এবং ঊনবিংশ ও বিংশ শতাব্দীর হিন্দু নবজাগরণের অন্যতম পুরোধাব্যক্তিত্ব। তাঁর শিষ্যসমাজে, এমনকি তাঁর আধুনিক ভক্তসমাজেও তিনি ঈশ্বরের অবতাররূপে পূজিত হন।",
"শ্যামপুকুর\nক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার পর রামকৃষ্ণ পরমহংসকে দক্ষিণেশ্বর থেকে কলকাতার শ্যামপুকুরের ৫৫ নং শ্যামপুকুর স্ট্রিটের বাড়িতে এনে রাখা হয়। এই বাড়িটি শ্যামপুকুর বাটী নামে পরিচিত। পরে তাঁকে এই বাড়ি থেকে কাশীপুর উদ্যানবাটীতে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানেই তাঁর প্রয়াণ ঘটেছিল। বর্তমানে রামকৃষ্ণ মিশন এই বাড়িটি অধিগ্রহণ করেছেন। এই বাড়িতে তাঁর ব্যবহৃত কিছু জিনিস ও কয়েকটি চিত্র রাখা আছে। অন্যান্য জিনিসের সঙ্গে রয়েছে সেই ক্যামেরার কয়েকটি অংশ, যেটি দিয়ে প্রথম রামকৃষ্ণ পরমহংসের ছবি তোলা হয়েছিল।",
"রামকৃষ্ণ পরমহংস\n\"ও রামকৃষ্ণ মিশন\"\nরামকৃষ্ণ পরমহংসের নামে একাধিক প্রতিষ্ঠান স্থাপিত হয়েছে। রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশন হল স্বামী বিবেকানন্দের স্থাপন করা প্রধান প্রতিষ্ঠানগুলির একটি। এটি স্থাপিত হয়েছে ১৮৯৭ সালে। স্বাস্থ্যরক্ষা, প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে ত্রাণকার্য, গ্রাম ব্যবস্থাপনা, আদিবাসী কল্যাণ, প্রাথমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিস্তারে রামকৃষ্ণ মিশন একাধিক শাখাকেন্দ্রের মাধ্যমে কাজ করে থাকে। রামকৃষ্ণ মিশনের কার্যকলাপ ভারতে হিন্দু পুনর্জাগরণ আন্দোলনের একটি অন্যতম প্রধান অঙ্গ হিসেবে গণ্য হয়। রামকৃষ্ণ পরমহংসের নামাঙ্কিত আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ১৯২৩ সালে স্বামী অভেদানন্দ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন শ্রীরামকৃষ্ণ বেদান্ত মঠ (বেদান্ত সোসাইটি)। ১৯২৯ সালে রামকৃষ্ণ মিশনের কয়েক জন বিক্ষুব্ধ সদস্য স্থাপন করেন রামকৃষ্ণ সারদা মঠ। ১৯৭৬ সালে স্বামী নিত্যানন্দ স্থাপন করেন রামকৃষ্ণ বিবেকানন্দ মিশন। ১৯৫৯ সালে রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের ভগিনী সংগঠন হিসেবে স্থাপিত হয় শ্রীসারদা মঠ ও রামকৃষ্ণ সারদা মিশন। ঊনবিংশ ও বিংশ শতাব্দীর ভারতীয় ও বঙ্গীয় নবজাগরণে রামকৃষ্ণ পরমহংসকে একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব মনে করা হয়। ম্যাক্স মুলার, মহাত্মা গান্ধী, জওহরলাল নেহেরু, শ্রীঅরবিন্দ ও লিও টলস্টয় মানবসমাজে রামকৃষ্ণ পরমহংসের অবদানের কথা স্বীকার করেছেন। ফ্রাঞ্জ ডোরাক (১৮৬২–১৯২৭) ও ফিলিপ গ্লাসের শিল্পকর্মে রামকৃষ্ণ পরমহংসের প্রভাব দেখা যায়।",
"শিরডি সাই বাবা\nতাঁরা ছিলেন সমসাময়িক, কিন্তু দেশের দুই রাজ্যে। একজন বাংলায়, অন্য জন সুদূর মহারাষ্ট্রে। \nবাংলার রামকৃষ্ণ পরমহংস জন্মেছিলেন ১৮৩৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে। অন্য দিকে, সাঁই বাবার জন্মতারিখ নিয়ে দোলাচল থাকলেও, অনেকের মতে তিনি জন্মেছিলেন ১৮৩৫ সালের সেপ্টেম্বরে।\nঠাকুর রামকৃষ্ণ নিজে কালী ভক্ত হলেও, তাঁর কাছে সব ধর্মই ছিল সমান। একই ভাবে, সর্বধর্ম সমন্বয়ের বার্তা দিয়েছিলেন সাঁই বাবাও। \nতাঁদের দর্শনেই যে শুধু মিল ছিল, তা নয়। অবাক হতে হয় এক তথ্য জানলে যে, ঠাকুর ও সাঁই বাবার মৃত্যুতেও ছিল এক অদ্ভূত যোগসূত্র। কোথাও লিপিবদ্ধ না থাকলেও, কথিত যে, ১৮৮৬ সালের অগস্ট মাস নাগাদ সাঁই বাবা সমাধিস্থ হন তিন দিনের জন্য। \nজানা যায়, ওই একই সময়ে, বাংলায় তখন মৃত্যুশয্যায় ছিলেন ঠাকুর। এবং তিন দিন পরে সাঁই বাবা নিজের দেহে ফিরে এলে, ঠাকুর চলে যান নশ্বর দেহ ছেড়ে।\nকথিত, সাঁই বাবা ফিরে এসে বলেন যে, তিনি তো চিরদিনের জন্যই ‘আল্লা’র কাছে চলে যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু, সেখানে গিয়ে জানতে পারেন যে, তাঁর বন্ধু শ্রীরামকৃষ্ণও যেতে চান ভগবানের কাছে। তাই তিনি ফিরে আসেন ধরাধামে।\nপ্রসঙ্গত, এমনও শোনা যায় যে, ঠাকুর রামকৃষ্ণ নাকি সাঁই বাবা সম্পর্কে বলতেন যে, এমনই এক ফকির এসেছেন পৃথিবীতে, যাঁকে হিন্দুরা পুজো করে ঈশ্বর হিসেবে আর মুসলমানরা করে পীর হিসেবে।",
"রামকৃষ্ণ পরমহংস\nরামকৃষ্ণ পরমহংস গ্রামীণ পশ্চিমবঙ্গের এক দরিদ্র বৈষ্ণব ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। দক্ষিণেশ্বর কালীবাড়িতে পৌরোহিত্য গ্রহণের পর বঙ্গীয় তথা ভারতীয় শক্তিবাদের প্রভাবে তিনি কালীর আরাধনা শুরু করেন। তাঁর প্রথম গুরু তন্ত্র ও বৈষ্ণবীয় ভক্তিতত্ত্বজ্ঞা এক সাধিকা। পরবর্তীকালে অদ্বৈত বেদান্ত মতে সাধনা করে নির্বিকল্প সমাধি লাভ করেন রামকৃষ্ণ। অন্যান্য ধর্মীয় মতে, বিশেষত ইসলাম ও খ্রিস্টীয় মতে সাধনা তাঁকে “যত মত, তত পথ” উপলব্ধির জগতে উন্নীত করে। পশ্চিমবঙ্গের আঞ্চলিক গ্রামীণ উপভাষায় ছোটো ছোটো গল্পের মাধ্যমে প্রদত্ত তাঁর ধর্মীয় শিক্ষা সাধারণ জনমানসে বিরাট প্রভাব বিস্তার করে। প্রথাগত দৃষ্টিভঙ্গিতে অশিক্ষিত হলেও রামকৃষ্ণ বাঙালি বিদ্বজ্জন সমাজ ও শিক্ষিত মধ্যবিত্ত সম্প্রদায়ের সম্ভ্রম অর্জনে সক্ষম হয়েছিলেন। ১৮৭০-এর দশকের মধ্যভাগ থেকে পাশ্চাত্যশিক্ষায় শিক্ষিত বুদ্ধিজীবীদের নিকট তিনি হয়ে ওঠেন হিন্দু পুনর্জাগরণের কেন্দ্রীয় চরিত্র। তৎসঙ্গে সংগঠিত করেন একদল অনুগামী, যাঁরা ১৮৮৬ সালে রামকৃষ্ণের প্রয়াণের পর সন্ন্যাস গ্রহণ করে তাঁর কাজ চালিয়ে যান। এঁদেরই নেতা ছিলেন স্বামী বিবেকানন্দ।",
"রামকৃষ্ণ পরমহংসের শিক্ষা\nরামকৃষ্ণ পরমহংস (১৮৩৬-১৮৮৬) ছিলেন ১৯শ শতাব্দীর এক বিশিষ্ট বাঙালি হিন্দু ধর্মগুরু ও জনপ্রিয় লোকশিক্ষক। তিনি সরল গ্রাম্য বাংলা ভাষায় উপমা ও নীতিগর্ভ কাহিনির মাধ্যমে ধর্মোপদেশ দান করতেন। তাঁর প্রধান শিক্ষা ছিল ঈশ্বরলাভই মানবজীবনের পরম উদ্দেশ্য, ‘কাম-কাঞ্চন’ ত্যাগ, সর্বধর্ম-সমন্বয় ও ‘শিবজ্ঞানে জীবসেবা’। রামকৃষ্ণ পরমহংসের শিক্ষার মূল উপজীব্যই ছিল একেশ্বরবাদ এবং সকল ধর্মমতের সত্যতা উপলব্ধি ও সমন্বয়।",
"রামকৃষ্ণ পরমহংস\nরামকৃষ্ণ পরমহংস সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর \"পরমহংস রামকৃষ্ণদেবের প্রতি\" কবিতাটি লিখেছিলেন:বহু সাধকের বহু সাধনার ধারা,\nধেয়ানে তোমার মিলিত হয়েছে তারা;\nতোমার জীবনে অসীমের লীলাপথে\nনূতন তীর্থ রূপ নিল এ জগতে;\nদেশ বিদেশের প্রণাম আনিল টানি\nসেথায় আমার প্রণতি দিলাম আনি।।রামকৃষ্ণ মিশন আয়োজিত রামকৃষ্ণ পরমহংসের জন্মশতবর্ষ অনুষ্ঠানে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন প্রধান অতিথি। এই অনুষ্ঠানে তিনি রামকৃষ্ণ পরমহংসের অবদান সম্পর্কে নিজের উচ্চ ধারণার কথা উল্লেখ করেছিলেন। ১৯৩৭ সালে রামকৃষ্ণ মিশন কলকাতায় বিশ্বধর্ম মহাসম্মেলনের আয়োজন করেছিলেন। এই সময় রামকৃষ্ণ পরমহংসের জন্মশতবর্ষ উৎসবও চলছিল। এই উপলক্ষে রবীন্দ্রনাথ লিখেছিলেন, \"তাঁর ব্যক্তিত্বের বিশালতা বোঝা যায় আপাত-বিরোধী সাধনপদ্ধতিগুলির অনুশীলনের মধ্যে দিয়ে। আর তাঁর মনের সরলতা পুরোহিত ও যাজকশ্রেণীর আড়ম্বর ও পাণ্ডিত্যকে চিরকালের জন্য ম্লান করে দিয়েছে।\"",
"রামকৃষ্ণ পরমহংস-বিষয়ক গ্রন্থতালিকা\nরামকৃষ্ণ পরমহংস (১৮৩৬–১৮৮৬) ছিলেন ঊনবিংশ শতাব্দীর বিশিষ্ট ভারতীয় হিন্দু ধর্মগুরু। তিনি নিজের জীবন সম্পর্কে কিছু লিখে যাননি। তাঁর শিষ্য ও প্রত্যক্ষদর্শীদের রচনা থেকে তাঁর জীবন ও শিক্ষার কথা জানা যায়। রামকৃষ্ণের নথিবদ্ধ শিক্ষা মূলত তাঁর জীবনের শেষ চার বছরের উক্তি থেকে জানা যায়।"
] | 42 |
ব্ল্যাকমেল শব্দটির বাংলা প্রতিশব্দ কী ? | [
"ব্ল্যাকমেইল\nব্ল্যাকমেলকে এক প্রকারের চাঁদাবাজিও বলা যেতে পারে। সাধারণতঃ শব্দ দুটি সমার্থক হলেও, চাঁদাবাজি ভবিষ্যতে ক্ষতি করার হুমকি দ্বারা ব্যক্তিগত সম্পত্তি হাতিয়ে নেয়াকে বুঝায়। ব্ল্যাকমেল হচ্ছে হুমকি ব্যবহার করে আরেকজনকে বৈধ অধিকার থেকে বিরত রাখা এবং কুৎসাপূর্ণ চিঠি বা এমন চিঠি লেখা যা শান্তি ভঙ্গ করে এবং সেইসাথে ভীতিপ্রদর্শন করে অপরিশোধিত ঋণ আদায় করাকে বোঝায়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কিছু কিছু রাজ্যে অন্য অপরাধের মধ্যে পার্থক্য করা হয় এইভাবে যে ব্ল্যাকমেইলের লিখিত প্রমাণ থাকতে হবে।কিছু কিছু দেশের আইন অনুযায়ী, অনেক সময় ডাকাতি চলাকালিন সময়ও ব্লাকমেল করা হয়।এই ঘটনাটি ঘটে যখন একটি অপরাধী ডাকাতির অংশ হিসেবে কিছু ছিনিয়ে নেবার জন্য অন্য কারও প্রতি অবিলম্বে সহিংসতার হুমকি দেয়। উদাহরণস্বরূপ, কোন কিছু আদায় করার জন্য \"তোমার টাকা, বা তোমার জীবন\" এই সহিংস হুমকিটি একটি বেআইনী হুমকি।"
] | [
"ব্ল্যাকমেইল\nবিভিন্ন ভাবে এই শব্দটির উৎপত্তি হয়েছে ব্রিটিশ ও স্কটিশ সীমান্ত এলাকায় বসবাসকারীরা সীমান্ত ডাকাতদের হামলাসহ অন্যান্য হয়রানির হাত থেকে বাচতে যে রাজস্ব (আধুনিক শব্দ, সুরক্ষা চাঁদা) দিত তা থেকে। ব্ল্যাকমেল এর \"মেইল\" অংশটি এসেছে মধ্যযুগের ইংরেজি শব্দ \"MALE\" থেকে যার অর্থ \"রাজস্ব বা খাজনা\"। এই খাজনা সাধারণত কোন বস্তু বা শ্রমের মাধ্যমে দিতে হত [\"রেডিটাস নিগিরি (reditus nigri\"), বা \"ব্ল্যাকমেল\"]; এর বিপরীত শব্দ হচ্ছে \"ব্লাঞ্চে ফিরমেস\" (\"blanche firmes\") বা \"রেডিটাস এলবি\" (\"reditus albi\"), বা \"সাদা রাজস্ব\" (রূপা দ্বারা প্রদান করা)। অন্যভাবে, ম্যাককে(Mckay) এর মতে শব্দটি দুটি স্কট্স গ্যালিক শব্দ \"ব্লাথিইচ(blathaich)\" উচ্চারন হবে [মাজখানে থি(th)নিরব থাকবে] ব্লা-ইচ (রক্ষা করা)এবং ম্যাল(\"mal\")(রাজস্ব বা খাজনা) থেকে এসেছে। তিনি লক্ষ্য করেন যে এই খাজনা দেবার রীতি স্কটল্যান্ডের পার্বত্য অঞ্চলের পাশাপাশি সীমান্ত অঞ্চলে প্রচলিত ছিল। আইরিশ গেইলিক ভাষায়,সিওস ডুভ [\"cíos dubh] \"শব্দটি\", \"মানে \"কালো-রাজস্ব\" ব্যবহৃত হয়েছে।",
"কলম (পত্রিকা)\nকলম পত্রিকায় অধিকাংশ বাংলা শব্দের ক্ষেত্রেই পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমি কর্তৃক সংস্কারকৃত বানানবিধি গৃহীত হয়েছে। যদিও আরবী ও উর্দু ভাষা ব্যবহার করা হয়। কেবল অবঙ্গভাষী ব্যক্তিত্ববর্গের নাম এবং বহির্বঙ্গের কোন স্থাননামের ক্ষেত্রে এই পত্রিকা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিত্বের মাতৃভাষায় অথবা সংশ্লিষ্ট স্থানে প্রচলিত ভাষায় প্রচলিত বানান এবং উচ্চারণ অনুসারে শব্দটির প্রতিবর্ণীকরণ করে থাকে।",
"প্রতীক\nইংরেজি শব্দটির বাংলা পারিভাষিক প্রতিশব্দ হলো প্রতীক। ইংরেজি শব্দটি এসেছে গ্রিক ক্রিয়াপদ ‘সিম্বালেঈন’ (অর্থ: একত্রে ছুঁড়ে মারা) এবং বিশেষ্য ‘সিম্বলোন’ (অর্থ: চিহ্ন; প্রতীক; টোকেন বা নিদর্শন) থেকে। এছাড়া বাংলায় ‘প্রতীক’ শব্দটির অর্থ চিহ্ন; নিদর্শন; সংকেত। বাংলা প্রতীক শব্দটি সংস্কৃত ‘প্রতি+√ই+ঈক’ যোগে গঠিত।",
"ব্ল্যাকমেইল\nব্ল্যাকমেল হচ্ছে একটি কাজ, প্রায়ই একটি অপরাধমূলক কাজ,যা হুমকি দিয়ে অন্যায়ভাবে কোন কিছু আদায় করা (সাধারণত টাকা বা সম্পত্তি) বা কোন চাহিদা পূরণ না করলে অন্যায়ভাবে ক্ষতি করাকে বোঝায়। সাধারণত এই অপরাধের সাথে যথেষ্ট সত্য বা মিথ্যা তথ্য সবার নিকট বা জনসম্মুখে প্রকাশ করে কোন ব্যক্তির, বা তার পরিবারের সদস্য, বা তার সহযোগীর শারীরিক ক্ষতি করার বা তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা রুজু করা হুমকি দেবার কর্মকাণ্ড জড়িত। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং অস্ট্রেলিয়ায় এটি একটি সংবিধিবদ্ধ অপরাধ, এবং অন্য কোন অপরাধকে সহজতম উপায়ে বুঝাতে বা নির্দেশ করতে এটি ব্যবহার করা হয়, কিন্তু ১৮৬৮ সালের পূর্বে ইংরেজি আইনে এর সংজ্ঞা লেখা ছিল না। ব্ল্যাকমেল শব্দটি দ্বারা আসলে স্কটল্যান্ড সীমান্তে ইংল্যান্ডের অধিবাসী কর্তৃক তাদের গোষ্ঠী প্রধান বা স্কটিশ ভূস্বামীদের খাজনা প্রধান করা বুঝাতো যা তারা স্কটিশ চোর বা ডাকাতের হাত থেকে সুরক্ষার বিনিময়ে দিয়ে থাকতো।",
"বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি\nবঙ্গ ও আল এ দু’টি শব্দ সমন্বয়ে বাংলা শব্দটির উদ্ভব। ১৩৫২ সালে সুলতান ইল্ইয়াস শাহ্ প্রথম বাংলা নামের প্রচলন করেন। বাংলা থেকেই মুলত বেঙ্গল শব্দটি আসে। ফ্রান্সিস ফার্নান্দেজের বর্ণনা অনুসারে পূর্বে চট্টগ্রাম থেকে পশ্চিমে উড়িষ্যার পয়েন্ট পামিরাস পর্যন্ত গঙ্গাবিধৌত ও পারচাসের মতে ৬০০ মাইল তটরেখাবিশিষ্ট দেশটি ‘বেঙ্গল’ নামে অভিহিত। বিহার ও উড়িষ্যার কিছু অংশ সহ মুসলমানি প্রদেশ সুবা বাঙ্গালা নিয়ে এই অঞ্চল গঠিত ছিল। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির মহাফেজখানায় পুরনো নাবিকদের এই অল্পবিদ্যাপ্রসূত ধারণাই প্রচলিত হয়ে যায়। উড়িষ্যা উপকূলের বালেশ্বর থেকে অবিভক্ত বিহারের কেন্দ্রে পটনা পর্যন্ত কোম্পানির সকল কুঠি ‘বেঙ্গল এসট্যাবলিশমেন্ট’ বা বঙ্গীয় অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। ক্রমে ক্রমে ব্রিটিশরা গঙ্গার যত উজানে যেতে লাগলেন, ততই সমগ্র উত্তর ভারত এই নামে অভিহিত হতে থাকল।",
"বিঠোবা\nবারকরী সন্তকবি তুকারাম অবশ্য একটি ভিন্ন ব্যুৎপত্তিগত অর্থ করেছেন। তাঁর মতে, ‘বিট্ঠল’ শব্দটি ‘বিট্ঠ’ (অজ্ঞতা) ও ‘ল’ (যিনি গ্রহণ করেন) শব্দদুটির দ্বারা গঠিত। অর্থাৎ, ‘বিট্ঠল’ শব্দটির অর্থ ‘যিনি অজ্ঞ নিষ্পাপ মানুষকে গ্রহণ করেন’। ইতিহাসবিদ রামকৃষ্ণ গোপাল ভাণ্ডারকর আরেকটি সম্ভাবনার কথা বলেছেন। তাঁর মতে, কন্নড় ভাষা ‘বিষ্ণু’ শব্দটির বিকৃত রূপ ‘বিট্ঠু’ মারাঠি ভাষায় গৃহীত হয়। সেই সঙ্গে –‘ল’ বা –‘ব’ (মারাঠি ভাষায় যার অর্থ ‘পিতা’) সম্মানার্থে যুক্ত করা হয়। এইভাবেই ‘বিট্ঠল’ বা ‘বিঠোবা’ শব্দটির উৎপত্তি হয়। উল্লেখ্য, খ্রিস্টীয় ৮ম শতাব্দী থেকেই মারাঠি ও কন্নড় জাতির মধ্যে সংস্কৃত ‘ষ্ণ’ যুক্তাক্ষরটির বিকৃত রূপ ‘ট্ঠ’ যুক্তাক্ষরটির ব্যবহার প্রচলিত হয়। সেই কারণে ‘বিষ্ণু’ শব্দটি হয়ে যায় ‘বিট্ঠু’।",
"দ্য টাইম মেশিন\nএলয় নামটি হিব্রু এলহিম শব্দের বহুবচন, বা ওল্ড টেস্টামেন্ট-এ ছোট দেবতা। মর্লক নামটি মলক নাটক থেকে নেওয়া হতে পারে, যার স্কটিশ অর্থ হল নীচ, অথবা দালমাতিয়ার মরলাচ্চি সম্প্রদায়কে উল্লেখ করা হয়েছে। পরবর্তী হাইপোথিসিসে দেখা যায় বলকান মরলাকরা পশ্চিম ও মধ্য ইউরোপের ভ্রমণকারী ও লেখকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল, যাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল ইয়োহান গটফ্রিট হের্ডার ও ইয়োহান ভোলফগাং ফন গ্যোটে এবং প্রায়ই বিভিন্ন লেখনীতে \"আদিম মানুষ\", \"পশ্চাৎপদ\", \"বর্বর\" হিসেবে তাদের সম্পর্কে বর্ণনা পাওয়া যেত।",
"বাংলা সাহিত্য\nমধ্যযুগের বাংলা কাব্যধারার একবিশিষ্ট শাখা হল মঙ্গলকাব্য।মঙ্গল শব্দের আভিধানিক অর্থ হল কল্যাণ। মধ্যযুগে বিভিন্ন দেব-দেবীর মহিমা ও মাহাত্ম্যকীর্তন এবং পৃথিবীতে তাদের পূজা প্রতিষ্ঠার কাহিনী নিয়ে যেসব কাব্য রচিত হয়েছে সেগুলোই বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে মঙ্গল কাব্য নামে পরিচিত।মঙ্গলকাব্যের তিনটি প্রধান ঐতিহ্যের মধ্যে মনসা মঙ্গল, চণ্ডী মঙ্গল ও ধর্ম মঙ্গল চিল অন্যতম । এই কাব্য তিনটির প্রধান চরিত্র হল যথাক্রমে মনসা, চণ্ডী ও ধর্মঠাকুর যারা বাংলার সকল স্থানীয় দেবতাদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ বলে বিবেচিত হয়। এছাড়াও কিছু ছোট মঙ্গলকাব্য রয়েছে, যেমন- শিবমঙ্গল, কালিকা মঙ্গল, রায় মঙ্গল, শশী মঙ্গল, শীতলা মঙ্গল ও কমলা মঙ্গল প্রভৃতি নামে পরিচিত। মঙ্গলকাব্যের প্রচলিত প্রধান কবিরা হলেন মুকুন্দরাম চক্রবর্তী, বিজয় গুপ্ত, রূপরাম চক্রবর্তী প্রমুখ।",
"ধর্মগ্রন্থ\nবাইবেল হল খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মগ্রন্থ। বাইবেল (বিবলজ) শব্দটি উদ্ভুত হয়েছে বা 'পাওযা' গ্রীক বিবলিয়া শব্দ থেকে, যার অর্থ 'একটি পুস্তক'। এটি প্যাপিরাস গাছের ছাল। বাইবেল হচ্ছে \"শাস্ত্র\" \"লিপি বা পুস্তক\", \"ঈশ্বরের বাক্য\"। বাইবেল হলো ৬৬টি পুস্তকের একটি সংকলন, যা দুটি প্রধান ভাগে বিভক্ত— ৩৯টি পুস্তক সম্বলিত পুরাতন নিয়ম বা ওল্ড টেস্টামেন্ট, এবং ২৭টি পুস্তক সম্বলিত নতুন নিয়ম বা নিউ টেস্টামেন্ট। খ্রিস্টধর্মমতে, ১৬০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ৪০জন লেখক বাইবেল রচনা করেছিলেন। এরা ছিলেন পৃথিবীর বিভিন্ন অংশের বিভিন্ন লোক। বাইবেলের মুখ্য বিষয়বস্তু বা কেন্দ্রমণি হলেন যীশু। পুরাতন নিয়ম মূলত হিব্রু ভাষায় লিখিত, তবে দানিয়েল ও ইষ্রা পুস্তক দুটির কিছু অংশ অরামীয় ভাষায় লিখিত। নুতন নিয়ম গ্রীক ভাষায় রচিত। বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ এই বাইবেল লিখেছেন। খ্রিস্টানগণ বিশ্বাস করেন, এই বাইবেল রচনা হয়েছিল খ্রিস্টীয় ত্রিত্ববাদের অন্যতম পবিত্র আত্মার সহায়তায়। পৃথিবীর অনেক ভাষায় বাইবেল অনুবাদ হয়েছে। বাইবেলে বলা হয়েছে যে মানুষের গুনাহ্ থেকে নাজাত করার জন্য ঈশ্বর তাঁর মনোনিত ব্যক্তি যীশুকে দুনিয়াতে প্রেরণ করেন। যে কেউ যীশুর প্রতি বিশ্বাস করে এবং পাপ মাফ পাবার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে ঈশ্বরের দিকে ফেরে সেই মুক্তি পায়। বাইবেলের ইউহোন্না খন্ডের ১৪ রুকু ৬ আয়াতে বলা হয়েছে, \"আমিই (যীশুই) পথ, সত্য আর জীবন। আমার মধ্য দিয়ে না গেলে কেউই পিতার কাছে (অর্থাৎ ঈশ্বরের কাছে) যেতে পারে না।\" ইসলাম ধর্মে \"বাইবেল\" বলে কোনো ধর্মগ্রন্থের উল্লেখ পাওয়া যায় না। উল্লেখ পাওয়া যায়, ঈশ্বরের বাণীবাহক ঈসার [আ.] প্রতি অবতীর্ণ ইঞ্জিল নামক ধর্মগ্রন্থের। কুরআনে বর্ণিত ঈসাকেই বাইবেলে যীশু বলা হয়। তবে মুসলিমরা বিশ্বাস করে বাইবেল আল্লাহর গ্রন্থ ইনযিলের পরিবর্তিত গ্রন্থ। কারণ মুসলিম ধারণা মতে, খ্রিস্টান পন্ডিতরা ইনযিলে পরিবর্তন সাধন করেছে।"
] | 75 |
জিন প্রথম কে আবিষ্কার করেন ? | [
"জিন\nবংশানুক্রমিক বৈশিষ্ট্যধারী এককের পৃথকীকরণ সম্পর্কে সর্বপ্রথম গ্রেগর জোহান মেন্ডেল (১৮২২-১৮৮৪) ধারণা দেন। ১৮৫৭ থেকে ১৮৬৪ সাল পর্যন্ত তিনি প্রায় ৮০০০ ধরণের সাধারণ মটরশুঁটি উদ্ভিদ নিয়ে গবেষণা করেন এবং পিতা-মাতা থেকে পরবর্তী বংশধরদের মধ্যে বৈশিষ্ট্যের স্থানান্তর পর্যবেক্ষণ করেন। তিনি একে গাণিতিকভাবে ২ বিন্যাস বলেন, যেখানে n হল হোমোজাইগাস বা বিশুদ্ধ বৈশিষ্ট্যধারী উদ্ভিদের মধ্যকার চরিত্রের ধরণসংখ্যা। তবে তিনি \"জিন\" শব্দটি ব্যবহার করতে পারেননি। তিনি তখন একে ফ্যাক্টর বা কণা হিসেবে অভিহিত করেন। তিনি বৈশিষ্ট্যের বংশানুসরণের উপর তাঁর পর্যবেক্ষণকে ভিত্তি করে ফলাফল প্রকাশ করেছিলেন। এই বর্ণনা সর্বপ্রথম জিনোটাইপ (জীবের জেনেটিক বৈশিষ্ট্য) ও ফিনোটাইপের (জীবের দৃশ্যমান বা বাহ্যিক বৈশিষ্ট্য) মধ্য পার্থক্য সৃষ্টি করে। মেন্ডেলই প্রথম স্বাধীন বিন্যাস বর্ণনা করেছিল, প্রকট এবং প্রচ্ছন্ন বৈশিষ্ট্যকে আলাদা করতে পেরেছিলেন এবং হেটারোজাইগোট ও হোমোজাইগোটের মধ্যে পার্থক্য করতে পেরেছিলেন এবং বৈশিষ্ট্যের বিচ্ছিন্ন প্রবাহ উদ্ঘাটন করেছিলেন।"
] | [
"জিন\n১৯৩০ ও ১৯৪০ এর দিকে আণবিক জিনতত্ত্বের সাথে ডারউইনিয়ান বিবর্তনের সংযোগ ঘটিয়ে নতুন তত্ত্ব প্রদান করা হয়, যা আধুনিক বিবর্তনিক সংশ্লেষণ নামে পরিচিত। জুলিয়ান হাক্সলি এই পদটি প্রথম ব্যবহারক করেন। এর পরপরই বিবর্তনবিজ্ঞানীগণ এই ধারণার পরিবর্ধন করেন। যেমন জর্জ সি. উইলিয়ামস বিবর্তনের জিন-কেন্দ্রিক দৃশ্য উপস্থাপন করেন। তিনি জিনের বিবর্তনিক ধারণা উপস্থান করে জিনকে প্রাকৃতিক নির্বাচনের একক হিসেবে আখ্যায়িত করে তাঁর সংজ্ঞায় বলেন, \"যা যথাযথ কম্পাঙ্কে পৃথক করে এবং সংমিশ্রিত করে।\" এই দৃষ্টি থেকে আণবিক জিন একক হিসেবে \"ট্রান্সক্রাইব\" করে এবং বিবর্তিক জিন \"উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত\" হয়। বিবর্তনে জিনের কেন্দ্রিকতা সম্পর্কিত ধারণা আরো জনপ্রিয়তা পায় রিচার্ড ডকিন্সের মাধ্যমে।",
"নাইলন খাদক ব্যাকটেরিয়া\nএই আবিষ্কারের পর জিন প্রকৌশলী সুসুমু অহনো এপ্রিল ১৯৮৪ সালে একটি গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেন। যেখানে তিনি অনুমান করেন ৬- এমাইনোহেক্সানয়িক এসিড হাইড্রোলিস নামক উৎসেচকের জিন ফ্রেমশিফট পরিব্যাক্তির সাহায্যে জিন ডুপ্লিকেশনের দ্বারা তৈরী হয়েছে। অহনো তার প্রস্তাবনায় বলেন বেশিরভাগ স্বতন্ত্র জিন এইভাবেই বিবর্তিত হয়েছে।",
"চার্লস ডারউইন\nসেন্ট জাগোর উপকূলে তাদের প্রথম যাত্রাবিরতিকালে ডারউইন আবিষ্কার করেন আগ্নেয় শিলার উঁচু চূড়ার সাদা একটি অংশে ঝিনুক রয়েছে। ফিটজরয় তাকে চার্লস লায়েলের \"প্রিন্সিপালস অফ জিওলজি\"র প্রথম খণ্ডটি দিয়েছিলেন যাতে ইউনিফির্মিটারিয়ানিজম প্রক্রিয়ায় বহু বছর ধরে ভূমির ধীরে ধীরে উঁচু হওয়া অথবা নিচু হয়ে হারিয়ে যাবার প্রক্রিয়ার উল্লেখ আছে। ডারউইন লায়েলের দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করেছিলেন, ভূতত্ত্বের উপর একটি বই লেখার জন্যে চিন্তাভাবনা ও তত্ত্ব তৈরি করতে শুরু করেন।\nব্রাজিলে গিয়ে ডারউইন নিরক্ষীয় বনভূমি দেখে মুগ্ধ হন, কিন্তু সেখানকার দাসপ্রথা তাকে ব্যথিত করে।\nপাতাগোনিয়ার পুনটা আলটায় পাহাড়চূড়ায় তিনি বিশাল সব বিলুপ্ত স্তন্যপায়ীর ফসিল আবিষ্কার করেন, পাশাপাশি তিনি আধুনিক সামুদ্রিক শামুকেরও দেখা পান, সে থেকে তিনি বুঝতে পারেন এ সব প্রাণী বিলুপ্ত হয়েছে সাম্প্রতিক সময়ে, বহুকাল পূর্বে কোনো মহাপ্লাবন বা অকস্মাৎ বিপর্যয়ের ফলে নয়। তিনি স্বল্প পরিচিত \"মেগাথেরিয়াম\" আবিষ্কার করেন, যার গায়ের অস্থিময় বর্ম দেখে তিনি প্রথমটায় স্থানীয় আর্মাডিলোর দানবাকার সংস্করণ ভেবেছিলেন। ইংল্যান্ডে পৌঁছানোর পর তার এসব আবিষ্কার রীতিমতো হইচই ফেলে দেয়। ভূতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য ও আরো ফসিলে অনুসন্ধান করতে তিনি স্থানীয় মানুষদের সাথে আনাচে-কানাচে ঘুরে বেড়াতে লাগলেন। তিনি লায়েলের দ্বিতীয় ভল্যুমটি পড়েছিলেন এবং তার প্রজাতির \"সৃষ্টির কেন্দ্র\" ধারণাটি মেনে নিয়েছিলেন, কিন্তু তার সংগৃহীত নমুনা এবং তাদের ব্যাখ্যা লায়েলের মসৃণ অবিচ্ছিনতা এবং প্রজাতির বিলুপ্তির ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করে।",
"জিন প্রকৌশল\n১৯৭২ সালে পল বার্গের রিকম্বিনেন্ট আবিষ্কার করেন ডিএনএ টেকনোলজি বা জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর । বায়োটেকনোলজি ব্যবহার করে এক কোষ থেকে সুনির্দিষ্ট জিন নিয়ে অন্য কোষে স্থাপন ও কর্মক্ষম করার ক্ষমতাকে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বলে। \nপ্রাণ রসায়ণের সবচেয়ে আধুনিক এ শাখায় জীবনকে সংজ্ঞায়িত করা হয় অণু-পরমাণু পর্যায়ে, একে বলা হয় \"The Molecular Logic Of Life\"। A-T-C-G এই মাত্র চারটি হরফে লেখা এ বিষয়কে বলা হয় Language of GOD। জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং মূলত ট্রান্সজেনিক (উন্নত বৈশিষ্টধারী) উদ্ভিদ ও প্রাণী সৃষ্টিতে কাজ করে। নামের শেষে ইঞ্জিনিয়ারিং যোগ করার কারণ হচ্ছে, জীববিজ্ঞানের কেবলমাত্র এ শাখাটিতেই নিজের ইচ্ছামত ডিজাইন করে একটি প্রাণী সৃষ্টি করা যায়, ডিজাইন করা যায় নিজের পছন্দের ই.কোলাই যে কিনা নিজের কথামত উঠবে বসবে। কাজটা অনেকটা একটা কম্পউটার প্রোগ্রাম ডিজাইন করার মতো।",
"জেনিফার ডাউডনা\nডাউডনা তার গবেষণাকর্ম শুরু করেন নোবেলজয়ী চিকিৎসাবিদ জ্যাক সজটাকের তত্ত্বাবধানে। তবে ক্রিসপার বিপ্লবের নেতৃত্বদানকারী হিসেবেই মূলতঃ ডাউডনা সুপরিচিত। তিনি ক্রিসপার দ্বারা জিন সম্পাদনার মৌলিক কাজে জড়িত ছিলেন এবং এর উন্নয়নে অবদান রেখেছেন। ২০১২ সালে ডাউডনা এবং এমানুয়েল কার্পেন্টিইর সর্বপ্রথম ব্যাক্টেরিয়ার ব্যবহৃত এনজাইম ক্রিসপার/ক্যাস৯ যে মনুষ্য নকশাকৃত জিন সম্পাদনায় ব্যবহার করা যেতে পারে, সে ব্যাপারে প্রস্তাবনা রাখেন। এই আবিষ্কার জীববিজ্ঞানের ইতিহাসে অন্যতম বৈপ্লবিক আবিষ্কার হিসেবে স্বীকৃত। প্রায়োগিক ক্ষেত্রে মৌলিক প্রোটিন, কোষবিদ্যা, উদ্ভিদ ও প্রাণীর রোগের চিকিৎসায় ক্রিসপার/ক্যাস৯ প্রযুক্তি ব্যবহারে একাধিক গবেষকদল গবেষণারত আছেন।\n২০১২ সালে জেনিফার ডাউডনা ও তার সহকর্মীরা ডিএনএর জিনোম সম্পাদনার এক নতুন প্রযুক্তি আবিষ্কার করেন। এই প্রযুক্তির ব্যবহারে সময় ও শ্রম দু'টোই নাটকীয়ভাবে কমে আসে। তাদের এই আবিষ্কার ক্যাস৯ নামক এক প্রোটিনের ভিত্তিতে দাঁড়িয়ে যা স্ট্রেপোকক্কাস ব্যাক্টেরিয়ার \"ক্রিসপার\" রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থায় উপলব্ধ্য। এই প্রোটিন কাঁচির মতো আক্রমণকারী ভাইরাসের ডিএনএ ব্যাক্টেরিয়ার ডিএনএ থেকে কেটে ফেলতে সক্ষম। ২০১৫ সালে ডাউডনা এ ক্রিসপার প্রযুক্তি ও এর নৈতিক ব্যবহার নিয়ে একটি টেড টক প্রদান করেন।",
"ইয়োহানেস কেপলার\n১৬১০ সালের প্রথম দিতে গালিলেও গালিলেই তার নতুন শক্তিশালী দূরবিনের সাহায্যে বৃহস্পতি গ্রহকে আবর্তনকারী চারটি উপগ্রহ আবিষ্কার করেন। \"সিদেরেয়ুস নুনকিয়ুস\" (তারকাশোভিত দূত) বইয়ের মাধ্যমে এই আবিষ্কারের খবর প্রকাশের পর গালিলেও কেপলারের মতামত জানতে চান, যাতে তার পর্যবেক্ষণের গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি পায়। কেপলার বেশ উৎসাহের সাথে একটি প্রকাশিত পত্রের মাধ্যমে তার অভিমত জানান, পত্রটির নাম \"দিসেরতাশিও কুম নুনকিও সিদেরেও\" (তারকাশোভিত দূতের সাথে কথোপকথন)। তিনি গালিলেওর পর্যবেক্ষণকে সত্যায়িত করেন এবং জ্যোতির্বিদ্যা, আলোকবিদ্যা, বিশ্বতত্ত্ব ও জ্যোতিষ শাস্ত্রের জন্য এই আবিষ্কারের অর্থ ও গালিলেওর দূরবিন প্রযুক্তির কার্যকারিতা নিয়ে আলোচনা করেন। সে বছরেরই শেষের দিকে \"নারাশিও দে জোভিস সাতেলিতিবুস\" প্রকাশের মাধ্যমে নিজের দূরবিন দিয়ে দেখা চাঁদ বর্ণনা করেন। এতে গালিলেওর পর্যবেক্ষণ আরো পাকাপোক্ত হয়। কিন্তু গালিলেও কখনও আস্ত্রোনোমিয়া নোভার প্রতিক্রিয়া (যদি আদৌ থেকে থাকে) প্রকাশ করেননি বলে কেপলার বেশ হতাশই হয়েছিলেন।",
"জিন\n১৯৭২ সালী ওয়াল্টার ফিয়েরস এবং তার দল ইউনিভার্সিটি অব ঘেন্টে সর্বপ্রথম একটি জিনের সিক্যুয়েন্স নির্ধারণ করতে সক্ষম হন। জিনটি ছিল ব্যাকটেরিওফাজ এমএস২ এর কোট প্রোটিন। ১৯৭৭ সালে বিজ্ঞানী ফ্রেডেরিক স্যাঙ্গার আবিষ্কৃত শিকল প্রান্তীকরণ পদ্ধতির ক্রমান্নয়নে শেষমেষ এই জটিল প্রক্রিয়ার দক্ষতা বেড়ে গিয়ে একটি সাধারণ পরীক্ষাগার প্রক্রিয়ায় পরিণত হয়। স্যাঙ্গারের এ পদ্ধতির একটি স্বয়ংক্রিয় সংস্করণই মানব জিনোম প্রকল্পে প্রাথমিকভাবে ব্যবহৃত হয়েছিল।",
"ইউরেনিয়াম\n১৭৮৯ সালে বিজ্ঞানী মার্টিন হাইনরিখ ক্ল্যাপরথ (Martin Heinrich Klaproth) ইউরেনিয়াম আবিষ্কার করেন। তিনি ইউরেনাস গ্রহের নামানুসারে এর নামকরণ করেন ইউরেনিয়াম কারণ তখন ইউরেনাস গ্রহের আবিষ্কারের ঘটনা ছিল সবচেয়ে সাম্প্রতিক। কিন্তু প্রথম ইউরেনিয়াম সংশ্লেষ করা হয় ১৮৪১ সালে। এই সালে বিজ্ঞানী ইউজিন পেলিকট (Eugene-Melchior Peliqot) ইউরেনিয়াম টেট্রাক্লোরাইড (UCl) থেকে প্রথম U সংশ্লেষ করেন। ১৮৬৯ সালে যখন দিমিত্রি মেন্ডেলিভ (Dimitri Ivanovich Mendeleyev) পর্যায় সারণী আবিষ্কার করেন তখন U সবচেয়ে ভারী মৌল হিসেবে সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। ১৯৪০ সালে প্রথম ট্রান্সইউরেনিয়াম মৌল তথা নেপচুনিয়াম আবিষ্কারের পূর্ব পর্যন্ত এটিই ছিল সবচেয়ে ভারী। ১৮৯৬ সালে বিজ্ঞানী হেনরি বেকেরেল ইউরেনিয়ামের তেজস্ক্রিয়তা আবিষ্কার করেন।",
"জিন\nবিজ্ঞানী জর্জ বীডল ও এডওয়ার্ড এল ট্যাটাম \"Neurospora crassa\" নামক ছত্রাক নিয়ে দীর্ঘ গবেষণার পর বলেন যে, নির্দিষ্ট জিন নির্দিষ্ট এনজাইম তৈরির জন্য দায়ী। এর মাধ্যমেই গ্যারুল(১৯০৮) সর্বপ্রথম এক জিন এক এনজাইম মতবাদ চালু করেন। এর আগেই জানা ছিল এনজাইম মানেই প্রোটিন, তাই পরবর্তীতে উক্ত মতবাদ পরিমার্জন করে বলা হয় এক জিন এক পলিপেপটাইড চেইন। অর্থাৎ এনজাইম ও প্রোটিন অণু জিন কর্তৃক সৃষ্ট।"
] | 50 |
খায়বারের যুদ্ধে কোন পক্ষের জয় হয় ? | [
"খায়বারের যুদ্ধ\n৭ম হিজরিতে মদীনা আক্রমণ করার ব্যাপারে খায়বারের ইহুদীদের নতুন ষড়যন্ত্রের কারনে খায়বার যুদ্ধ হয়। খায়বার ছিল মদীনা থেকে ৮০ মাইল দূরের একটি বড় শহর। এখানে ইহুদীদের অনেক গুলি দূর্গ ও ক্ষেত খামার ছিল। মূলত খায়বার ছিল ইহুদীদের একটি নতুন উপনিবেশ। খায়বারের ইহুদীরা বনু কোরাইজা গোত্রের ইহুদীদের কে বিশ্বাসঘাতকায় উদ্দীপিত করেছিল। এছাড়া মুহাম্মাদ (সা) কে হত্যা করার ষড়যন্ত্র এই খায়বার থেকে হত। খায়বারের ইহুদীরা গাতাফান গোত্র ও বেদুঈনদের সাথে মিলিত হয়ে মদীনা আক্রমণ করার ব্যাপারে ষড়যন্ত্র করছিল। খায়বার যুদ্ধে পরাজিত ইহুদীদের কে মুহাম্মাদ কোন নির্বাসন দেন নি। প্রতি বছর তাদের উৎপাদিত ফল ফসলের অর্ধেক ইহুদীরা মুসলমানদের কে দিবে এই শর্তে খায়বারের ইহুদীরা খায়বারে থাকার অনুমতি পায়। কিন্তু এই খায়বার যুদ্ধের পর পর এক ইহুদী মহিলা মুহাম্মাদকে আমন্ত্রণ করে ছাগলের মাংসের ভিতরে বিষ মিশিয়ে মুহাম্মাদকে হত্যা করতে চেয়েছিল। এই ঘটনার পরেও মুহাম্মাদ খায়বারের সকল ইহুদীদের কে ক্ষমা করে দিয়েছিলেন।",
"খায়বারের যুদ্ধ\nমুহাম্মাদ (সা) খাইবারবাসীকে তাদের দুই দুর্গ ওয়াতীহ ও সুলালিমে অবরোধ করলেন। যখন তারা নিশ্চিতভাবে বুঝলো যে মৃত্যু ছাড়া আর কোন উপায় নেই তখন তারা তাঁর কাছে প্রাণভিক্ষা চাইল এবং খাইবার থেকে তাদেরকে বহিস্কার করার প্রস্তাব দিল। মুহাম্মাদ (সা) এ প্রস্তাব মেনে নিলেন ও প্রাণভিক্ষা দিলেন। ইতঃপূর্বেই তিনি তাদের আশঙ্কা আন্ নাতাহাহ ও আল কুতাইবার ভূমিসহ সমস্ত স্থাবর অস্থঅবর সম্পদ এবং ঐ দুটি দুর্গ ছাড়া সকল দুর্গ অধিকার করে নিয়েছিলেন। ফদাকবাসী যারা যুদ্ধের সময় খায়বারের মিত্র ছিল, তারা সমস্ত খবর জানতে পারলো। তারা মুহাম্মাদ (সা) কে তাদের প্রাণভিক্ষা দিয়ে বিতাড়িত করণ এবং জমিজমা ও ধনসম্পদ হস্তগত করার অনুরোধ জানালো। মুহাম্মাদ (সা) তাদের অনুরোধ গ্রহণ করলেন। ইয়াহুদীদের পক্ষ থেকে যারা এই অনুরোধ নিয়ে মুহাম্মাদ (সা) র নিকট গিয়েছিল তাদের মধ্যে মুহাইসা ইবনে মাসউদ ছিলো অন্যতম। সে ছিল বনু হারেসার লোক। খাইবারবসী এই ব্যবস্থা প্রথমে মেনে নেয়। কিন্তু পরে অনুরোধ করে যে আমাদেরকে বহিস্কার না করে অর্ধেক বর্গাভাগের ভিত্তিতে জমি চাষের কাজে নিয়োজিত করুন। তারা যুক্তি দেখাতে গিয়ে বলে যে এখানকার জমিজমা আমরাই ভাল আবাদ করতে সক্ষম এবং এ কাজে আমরাই সবচেয়ে অভিজ্ঞ ও পারদর্শী। মুহাম্মাদ (সা) এ প্রস্তাব মঞ্জুর করে তাদের সাথে আপোষরফা করলেন। তবে শর্ত আরোপ করলেন যে, আমরা ইচ্ছা করলেই তোমাদেরকে উচ্ছেদ করার অধিকার আমাদের থাকবে। ফাদাকবাসীও এই শর্তে তাঁর সাথে আপোস করলো। এভাবে খায়বারবাসীর ন্যায় ফাদাকবাসীদের সাথেও একটি সন্ধিচুক্তি করা হল এবং খাইবার মুসলামানদের যৌথ সম্পদ এবং ফাদাক মুহাম্মাদ (সা)র ব্যক্তিগত সম্পদে পরিণত হলো। কেননা ফাদাক জয় করতে সামরিক অভিযানের প্রয়োজন পড়েনি।"
] | [
"খায়বারের যুদ্ধ\nঅনেক ইসলামী পণ্ডিত উপরে উল্লেখিত চক্রান্তসমূহকে খায়বার যুদ্ধের কারণ বলে মনে করেন। মন্টগোমারি ওয়াটের বক্তব্য অনুযায়ী, তাঁদের এই কুচক্রী প্রতিহিংসামূলক কর্মকাণ্ডের কারণে মুহাম্মাদের কাছে আক্রমণ করা ছাড়া আর কোন উপায় ছিল না। ভ্যাগ্লিয়েরি আরও যোগ করেন যে, আক্রমণের আরেকটি কারণ হতে পারে যে , খাইবারের এই ইহুদিরাই উহুদের যুদ্ধে চুক্তিতে আবদ্ধ মিত্রবাহিনীর বিরোধিতার জন্য দায়ী ছিল। শিবলী নোমানীও ভ্যাগ্লিয়েরির সাথে ঐকমত্য্য পোষণ করেন, এবং তিনি বনু নাদির গোত্রের হুয়াই ইবনে আখতাবকে এর জন্য দায়ী করেন, যে কিনা বনু কুরাইযা গোত্রকে খন্দকের যুদ্ধে মুহাম্মাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য প্ররোচিত করেছিল।",
"খায়বারের যুদ্ধ\n৭ম হিজরীর মুহাররম মাসে, অর্থাৎ ৬২৮ খ্রিস্টাব্দের মে মাসে মুসলিমগণ খাইবার যুদ্ধের জন্য রওয়ানা হয়। বিভিন্ন সূত্র অনুযায়ী, সে সময় মুসলিম বাহিনীর সদস্য সংখ্যা ছিল আনুমানিক ১৪০০ থেকে ১৮০০ জন এবং সাথে ঘোড়া ছিল ১০০ থেকে ২০০ টি। উম্মে সালামা সহ বেশ কিছু মুসলিম মহিলা আহত সৈন্যদের দেখাশুনা করার জন্য যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। খায়বারের ১০০০০ সৈন্যের তুলনায় মুসলিম সেনাবাহিনীর সদস্য সংখ্যা ছিল নগণ্য, কিন্তু এই নগণ্য সদস্য সংখ্যাই মুসলিমদের সুবিধা করে দিয়েছিল। স্বল্প সংখ্যক হওয়ার কারণেই মুসলিমগণ নীরবে ও দ্রুতবেগে খায়বারের দিকে মাত্র তিনদিনের মধ্যে অগ্রসর হয়ে আকস্মিকভাবে নগরীতে প্রবেশ করতে পেরেছিল।) এছাড়া বৃহৎসংখ্যক সৈন্য খাইবারবাসীকে অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছিল। ফলস্বরূপ, ইহুদিগণ কেন্দ্রীয়ভাবে সংগঠিত হয়ে মুসলিমদের প্রতিহত করতে ব্যর্থ হয়, এবং ইহুদি পরিবারগুলোর হাতে নিজ নিজ দুর্গ রক্ষা করার দায়িত্ব ছেড়ে দেয়। খাইবারের ইহুদিগণ মুসলিমদের শক্তিকে ছোট করে দেখার কারণেই মুহাম্মাদের পক্ষে আপেক্ষিক স্বচ্ছন্দে একটির পর একটি করে প্রতিটি দুর্গ জয় করা সহজ হয়ে গিয়েছিল, এবং সাথে খাদ্য, যুদ্ধাস্ত্র এবং পারিপার্শ্বিক জমিসমূহ দখলও। \nআনাস ইবনে মালিক বলেন:\"আমরা খায়বারে পৌঁছে দেখতে পেলাম সকাল বেলা খাইবারের শ্রমিকরা কোদাল ও ঝুড়ি নিয়ে দিনের কাজে বেরুচ্ছিল। রাসূলুল্লাহ (সা) ও তাঁর বাহিনিকে দেখে তারা সবিস্ময়ে বলে উঠলো, “সর্বনাশ! মুহাম্মাদ তার বাহিনীসহ হাজির হয়েছে দেখছি”- বলেই তারা পালিয়ে পেছনে ফিরে যেতে লাগলো। সে দৃশ্য দেখে রাসূলুল্লাহ (সা) বললেন, “আল্লাহু আকবার! খাইবারের পতন ঘটেছে। আমরা কোন জনপদে আগমন করলেই তার অধিবাসীর সকাল বেলাটা দুর্ভাগ্যময় হয়ে ওঠে।”",
"খায়বারের যুদ্ধ\nমুহাম্মাদের সাথে যুদ্ধ আসন্ন বলে মনে হওয়ায় খায়বারের ইহুদিগণ ফাদাক মরুভূমির ইহুদিগণের সাথে একটি মৈত্রীবন্ধন বা জোট স্থাপন করে। এছাড়াও তারা বেদুঈন গাতাফান গোত্রকেও ফসলের অর্ধেক প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিয়ে যুদ্ধে তাঁদের পক্ষে যোগ দেয়ার জন্য রাজি করিয়ে ফেলে। যাই হোক, উক্ত তিন শক্তির তুলনায় মুহাম্মাদ (সা) এর সৈন্যবাহিনীকে খায়বারবাসীর মুকাবেলা করার জন্য সেরকম শক্তিশালী ও প্রস্তুত বলে মনে হচ্ছিল না। মুহাম্মাদ (সা) এর সেনাবাহিনী ছোট জানতে পেরে তারা আসন্ন যুদ্ধে প্রতিরক্ষার জন্য সাংগঠনিক প্রস্তুতি নেয়া প্রায় বন্ধই করে দিল, তাছাড়া তাঁদের পরিবারগুলোর মধ্যে চলমান পূর্ববর্তী ঝগড়া তাঁদেরকে তাঁদেরকে পূর্বের মতই বিশৃঙ্খল করে রাখল। বনু গাতাফানের সাথে সংশ্লিষ্ট গোত্র বনু ফাজারাও মুসলিমদের সাথে সন্ধি স্থাপনে ব্যর্থ হওয়ার পর খায়বারবাসীকে যুদ্ধে সহায়তা প্রদানের প্রস্তাব করে।",
"খায়বারের যুদ্ধ\nযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে, মুসলিমগণ গাতাফান গোত্রকে খায়বারবাসীর সহায়তায় ৪০০০ সেনা প্রদান করার গৃহীত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন থেকে বিরত রাখতে সক্ষম হয়। এর একটি কারণ হিসেবে মনে করা হয় যে, মুসলিমগণ ইহুদিদের বেদুঈন মিত্রদের অর্থ দিয়ে কিনে ফেলতে সক্ষম হয়েছিলেন। পাশাপাশি ওয়াট আরও দাবি করেন যে, গাতাফানদের দুর্গে মুসলিমদের হামলা করার গুজবও এক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা রেখেছে।\nতাবারির মতে, খায়বার যুদ্ধে মুহাম্মাদ (সা) আল রাযী উপত্যকায় প্রথম যাত্রাবিরতি করেন। টানা এক দিন সফরের পর গাতাফানের লোকেরা মুসলিম বাহিনীর আগমন টের পায় এবং নিজ পরিবার ও সম্পদ রক্ষা করার জন্য খায়বারবাসীকে সাহায্যের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে, যা মুহাম্মাদ (সা) এর সেনাবাহিনীর বিজয়ের পথকে আরও প্রশস্ত করে দেয়। আরেকটি বর্ণনা প্রচলিত আছে যে, একটি রহস্যময় কণ্ঠ গাতাফান গোত্রকে বিপদ সম্পর্কে সতর্ক করে তাঁদেরকে নিজ নিজ ঘরে ফিরে যাওয়ার জন্য প্রভাবিত করে।",
"খায়বারের যুদ্ধ\nআনাস ইবনু মালিক থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা) (একদিন) ফজরের সালাত (নামায/নামাজ) অন্ধকার থাকতে আদায় করলেন। এরপর সাওয়ারীতে আরোহণ করলেন এবং বললেনঃ আল্লাহু আকবার, খায়বার ধ্বংস হোক! যখন আমরা কোন সম্প্রদায়ের এলাকায় অবতরণ করি তখন সতর্কীকৃত দের প্রভাত হয় কতই না মন্দ! তখন তারা (ইয়াহূদীরা) বের হয়ে গলির মধ্যে দৌড়াতে লাগল এবং বলতে লাগল, মুহাম্মাদ ও তাঁর খামীস এসে গেছে। বর্ণনাকারী বলেন, খামীস হচ্ছে , সৈন্য–সামন্ত। পরে রাসূল (সা) তাদের উপর জয়লাভ করেন। তিনি যোদ্ধাদের হত্যা করলেন এবং নারী-শিশুদের বন্দী করলেন। তখন সাফিয়্যা প্রথমত দিহইয়া কালবীর এবং পরে রাসূল (সা) -এর অংশে পড়ল। তারপর তিনি তাঁকে বিয়ে করেন এবং তাঁর মুক্তিদানকে মোহররূপে গণ্য করেন। আবদুল আযীয, সাবিত-এর কাছে জানতে চাইলেন, তাঁকে কি মোহর দেওয়া হয়েছিল, তা কি আপনি রাসূল (সা) -কে জিজ্ঞাসা করেছিলেন? তিনি বললেন, তাঁর মুক্তই তাঁর মোহর, আর মুচকি হাসলেন।",
"খায়বারের যুদ্ধ\nসালামা ইবনু আকওয়া থেকে তার পিতার সূত্রে বর্ণিত: ...আল্লাহর কসম! এরপর আমরা তিনরাতের অধিক মদিনায় থাকতে পারিনি। এমনি সময় রাসুলুল্লাহ (সা) এর সঙ্গে আমরা খায়বারের দিকে বেরিয়ে পড়লাম। তিনি বলেন, তখন আমার চাচা আমির প্রেরণামূলক কবিতা আবৃত্তি করতে লাগলেন। আল্লাহর কসম! আল্লাহর অনুগ্রহ না হলে আমরা হিদায়াত পেতাম না, সাদাকাও দিতাম না আর সালাতও আদায় করতাম না। আমরা আপনার অনুগ্রহ থেকে কখনও বেপরওয়া হতে পারি না, তাই আপনি আমাদের কদম দৃঢ় রাখুন, যখন আমরা শত্রুদের সম্মুখীন হই এবং আপনি আমাদের প্রতি প্রশান্তি বর্ষণ করুন। তারপর রাসুলুল্লাহ (সা) বললেনঃ এ ব্যক্তি কে? তিনি বললেন, আমি আমির। রাসুলুল্লাহ (সা) বললেন, তোমার রব তোমাকে ক্ষমা করুন। রাবী বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা) যখন কারো জন্য বিশেষভাবে দু’আ করতেন সে শহীদ হত। তিনি বলেন, তখন নিজ উটে বসা উমর ইবনুল খাত্তাব দূর থেকে আওয়াজ করে বললেন, ইয়া নাবী আল্লাহ্! আমিরকে দিয়ে যদি না আমাদের আরো উপকার করতেন? তিনি বলেন, তারপর যখন আমরা খায়বারে উপস্থিত হলাম, তখন খায়বার অধিপতি মুরাহহাব (মারহাব) তরবারি দোলাতে দোলাতে বেরিয়ে এল এবং বলল, “খায়বার জানে যে, আমি মুরাহহাব, পূর্ণ অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত, অভিজ্ঞতাপূর্ণ এক বীরপুরুষ। রাবী বলেন, আমার চাচা আমির কবিতা আবৃত্তি করতে করতে বললেন, “খায়বার জানে যে, আমি আমির অস্ত্রে শস্ত্রে সুসজ্জিত যুদ্ধে অবতীর্ণ বীর বাহাদুর নির্ভীক ব্যক্তি”।",
"খায়বারের যুদ্ধ\nআক্রমণের কারণ প্রসঙ্গে, স্কটিশ ঐতিহাসিক উইলিয়াম মন্টগোমারি ওয়াট খায়বার যুদ্ধে বনু নাদির গোত্রের উপস্থিতি উদ্ধৃত করেন, যারা মদিনার ইসলামী সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবেশী আরব গোত্রগুলোর মধ্যে শত্রুভাবাপন্ন মানসিকতা জাগিয়ে তুলছিল। ইতালীয় প্রাচ্যবিদ লরা ভেক্সিয়া ভ্যাগ্লিয়েরি ওয়াটের তত্ত্বের সাথে ঐকমত্য্য পোষণ করে দাবী করেন যে, যুদ্ধের পেছনে আরও কারণ থাকতে পারে, যেগুলো হল, ইহুদিদের উক্ত দুরভিসন্ধির প্রতিক্রিয়া মুহাম্মাদের সাহাবীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা এবং ভবিষ্যতের যুদ্ধ অভিযানসমূহের রসদ হিসেবে যুদ্ধলব্ধ মালামালসমূহ লুণ্ঠনের উপযোগিতা।",
"খায়বারের যুদ্ধ\nখায়বার বিজয়ের কারণে সাহাবীগণ এবং স্থানীয় বেদুঈন গোত্রগুলোর কাছে মুহাম্মাদ (সা) এর মর্যাদা অনেক বেঁড়ে যায়। স্থানীয় বেদুঈনগণ মুহাম্মাদ (সা) এর ক্ষমতা অনুধাবন করে তাঁর আনুগত্য স্বীকার করে এবং ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত হয়। খায়বার যুদ্ধের যুদ্ধলব্ধ মালামাল এবং অস্ত্রসমূহ তাঁর সেনাবাহিনীকে আরও শক্তিশালী করে, এবং খায়বার বিজয়ের মাত্র ১৮ মাস পরেই মুহাম্মাদ (সা) মক্কা দখল করতে সক্ষম হন।"
] | 94 |
মোট কয়টি দ্বীপের সমন্বয়ে ইন্দোনেশিয়া দেশটি গড়ে উঠেছে ? | [
"ইন্দোনেশিয়া\nইন্দোনেশিয়া দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একটি দ্বীপ রাষ্ট্র। ল্যাটিন ইন্ডাস থেকে ইন্দোনেশিয়া শব্দটি এসেছে। ল্যাটিন শব্দটির অর্থ দাঁড়ায় দ্বীপ। ডাচ উপনিবেশের কারণে তাদের দেয়া নামটি ওই অঞ্চলের জন্য প্রচলিত হয়। ১৯০০ সাল থেকে জায়গাটি ইন্দোনেশিয়া নামে পরিচিতি পায়। প্রায় ৫,০০০ দ্বীপের সমন্বয়ে গঠিত এই দেশটি পৃথিবীর বৃহত্তম মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ রাষ্ট্র। এর রাজধানীর নাম জাকার্তা। সরকারী ভাবে ইন্দোনেশিয়ার নাম ইন্দোনেশীয় প্রজাতন্ত্রী (ইন্দোনেশীয় ভাষায় \"Republik Indonesia\")."
] | [
"ইন্দোনেশীয় রন্ধনশৈলী\nইন্দোনেশিয় রন্ধনশৈলী বিশ্বের সবচেয়ে পরিবর্তনশীল এবং বর্ণিল খাবারের সমাহার যা তীব্র স্বাদে পূর্ণ। এটি বৈচিত্রপূর্ণ কারণ ইন্দোনেশিয়া পৃথিবীর বৃহত্তম দ্বীপপুঞ্জ। ৩০০ টিরও বেশি নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠী ইন্দোনেশিয়ায় বাস করে। এখানে অনেক আঞ্চলিক রান্না বিদ্যমান। যেগুলোতে আদিবাসী সংস্কৃতি এবং বিদেশী প্রভাবের উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। ইন্দোনেশিয়ার প্রায় ৫২৫০ টি প্রচলিত রেসিপি রয়েছে, যার মধ্যে ৩০ টিকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। চাল, নুডল এবং স্যুপ খাবারের সমন্বয়ে ইন্দোনেশিয় রন্ধনশৈলী বিকশিত হয়েছে।",
"ইন্দোনেশিয়ার রেল পরিবহন\nইন্দোনেশিয়া এর রেল পরিবহন ব্যবস্থা তিনটি পৃথক রেল নেটওয়ার এর মাধযমে হয়ে থাকে।এই গুলি হল সুমাত্র , কালিমন্ত ও সুলেয়েসি।ওই দেশে প্রথম রেল চালু হয় জাভা দ্বীপে।দেশটিতে ১০৬৭ এমএম , ১৪৩৫ এমএম ও ৭৫০ এমএম এই তিন ধরনের গেজের রেল ব্যবস্থি রয়েছে।এই দেশের রেল ব্যবস্থা জাভা দ্বীপে ভাল ভাবে গড়ে উঠেছে।দেশ টিতে মোট ৪,০৬৯ কিলোমিটার বা ২৫২৮ মাইল রেল পথ রয়েছে।এর মধ্যে মাত্র ২৩৫ কিলোমিটার বা ১৪৬ মাইল রেল পথ বিদ্যুতীক রেল পরিসেবা রয়েছে।এচছার এই দেশের জাকার্তা, বানদুং ও সারাবায়া শহরের \"\nশহরতলী রেল পরিসেবা \" রয়েছে।জাকার্তাতে একটি লাইট রেল এর নির্মাণ চলছে।\n১৮৬৭ সালে প্রথম রেল পরিসেবা চালু হয় ইন্দোনেশিয়ায়।এটি চালু হয় জাভা দ্বীপে।প্রথম রেল পথটি নির্মাণ করে রাজ্যের সংস্থা গুলি।জাপান আক্যমন ও ইন্দোনেশিয়ার স্বাধীনতা যুদ্ধে এই দেশেরর রেল ব্যবস্থা বিরিট ক্ষতির সমুখীন হয়।এই সময় দেশের রেল ব্যবস্থা সম্পর্ন ভেঙ্গে পড়ে।দেশ স্বাধীনতার পর ১৯৫০ সালে ববিদেশ থেকে ১০০ টি বাষ্ট ইঞ্জিন আনা হয়।এর পর ১৯৫৩ সালে দেশে প্রথম ডিজেল ইঞ্জিল আনা হয়।১৯৮০ সালের সময় থেকে দেশের গুরুত্ব পূর্ন রেল পথে ডিজেল ইঞ্জিনের দ্বারা রেল পরিসেবা প্রদান শুরু হয়।১৯৭০ সালে জাপান থেকে ৬০ বছরের পুরনো বিদ্যুৎ চালিত রেল ইঞ্জিন আনা হয় ও নতুন ভাবে নির্মাণ করে চলাচল এর উপযুক্ত করে দেশে বিদ্যুৎ চালিত রেল পরিসেবা দেওয়া হয়।",
"ইন্দোনেশীয় রন্ধনশৈলী\nইতিহাস জুড়ে ইন্দোনেশিয়া তার অবস্থান এবং প্রাকৃতিক সম্পদের কারণে বাণিজ্যে জড়িত হয়েছে। উপরন্তু ইন্দোনেশিয়া এর আদিবাসী কৌশল এবং উপাদান ভারত, মধ্যপ্রাচ্য, চীন, এবং অবশেষে ইউরোপ দ্বারা প্রভাবিত ছিল। স্প্যানিশ এবং পর্তুগিজ ব্যবসায়ীরা দ্বীপপুঞ্জে ওলন্দাজদের উপনিবেশ স্থাপন করার আগেই নিউ ওয়ার্ল্ড তৈরি করেছিল। ইন্দোনেশিয়ার দ্বীপপুঞ্জ মোলুকাস (মালুকু), \"স্পাইস আইল্যান্ডস\" বা মশলা দ্বীপ নামে পরিচিত। এই দ্বীপের স্থানীয় মশলা ইন্দোনেশিয়ান এবং বিশ্ব রন্ধনশৈলীতে জয়ফলের সমাবেশ ঘটায়।",
"ইন্দোনেশিয়া\nস্বাধীনতার সময় ওলন্দাজেরা নিউ গিনি দ্বীপের পশ্চিমাংসে তাদের নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখে। অঞ্চলটি সুকর্ণ এবং সুহার্তোর আমলে ইরিয়ান জায়া এবং ২০০০ সাল থেকে পাপুয়া নামে পরিচিত। ইরিয়ান জায়াকে ইন্দোনেশিয়ার অংশে পরিণত করার ব্যাপারে ইন্দোনেশিয়া ও ওলন্দাজদের মধ্যে আলোচনা ব্যর্থ হয় এবং ১৯৬১ সালে ইন্দোনেশীয় ও ওলন্দাজ সেনারা সামরিক সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে। ১৯৬২ সালের আগস্ট মাসে দুই পক্ষ একটি চুক্তিতে আসে এবং ১৯৬৩ সালের ১লা মে থেকে ইন্দোনেশিয়া ইরিয়ান জায়ার প্রশাসনিক দায়িত্ব নেয়। ১৯৬৯ সালে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে ইন্দোনেশিয়া একটি ভোটের আয়োজন করে যাতে পাপুয়ার স্থানীয় কাউন্সিলগুলির প্রতিনিধিরা ইন্দোনেশিয়ার অংশ হবার ইচ্ছা ব্যক্ত করে। এর পরে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে একটি প্রস্তাবের মাধ্যমে অঞ্চলটি ইন্দোনেশিয়ার কাছে হস্তান্তর করা হয়। তবে পাপুয়াতে ইন্দোনেশিয়ার প্রশাসন বিরোধী ছোট আকারের গেরিলা কর্মকাণ্ড শুরু হয়। ১৯৯৮ সাল থেকে পাপুয়াতে স্বাধীনতার দাবী আরও জোরালো হয়ে উঠেছে।",
"ই-৯ (দেশসমূহ)\nই-৯ দেশসমূহ আর্থসামাজিকভাবে অনেক গুরুত্বপূর্ণ আগ্রগতি করেছে। ব্রাজিল, চীন, ইন্দোনেশিয়া এবং মেক্সিকো জি-২০ এর সদস্য। এর মধ্যে মেক্সিকো ওইসিডি সদস্য এবং চীন বর্তমানে পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ। ব্রাজিল এবং ভারতও সেরা দশ অর্থনীতির দুইটি দেশ। ইন্দোনেশিয়ার উন্নয়নও খুব দ্রত হচ্ছে। ১৯৯৩ এই ফোরামের সদস্য দেশসমূহের নমিনাল জিডিপি ছিলো পৃথিবীর মোট নমিনাল জিডিপির ১৬.৫% যা বর্তমানে বেড়ে হয়েছে ৩০%।",
"মালয় দ্বীপপুঞ্জ\nমালয় দ্বীপপুঞ্জ (ইংরেজি: Malay Archipelago) পৃথিবীর বৃহত্তম দ্বীপপুঞ্জ যা ইন্দোনেশিয়ার প্রায় ১৭,০০০ এবং ফিলিপাইনের প্রায় ৭,০০০ দ্বীপ নিয়ে গঠিত। একে অনেক সময় \"ইন্দো-অস্ট্রেলীয় দ্বীপপুঞ্জ\", বা \"ইন্দো-এশীয়\" দ্বীপপুঞ্জ বলা হয়। আবার ইউরোপীয় উপনিবেশের সময় থেকে অঞ্চলটিকে \"ইস্ট ইন্ডিজ\"-ও (পূর্ব ভারতীয় দ্বীপপুঞ্জ) ডাকা হয়। নিউ গিনি-কে অনেক সময় এর অন্তর্ভুক্ত করা হয়, যদিও উত্তর-পশ্চিমের আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ এবং পূর্বের বিসমার্ক দ্বীপপুঞ্জকে কখনো অন্তর্ভুক্ত করা হয় না। এখানকার ইন্দোনেশীয় দ্বীপশ্রেণীগুলোর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে ঊর্ধ্ব সুন্দা (সুমাত্রা, জাভা, বোর্নিও ও সেলেবিস), নিম্ন সুন্দা, মালুকু, এবং পশ্চিম নিউ গিনি। ফিলিপাইনের প্রধান দ্বীপগুলোর মধ্যে আছে উত্তরে লুজান, দক্ষিণে মিন্দানাও, এবং এদের মাঝখানে ভিসায়াস। এ অঞ্চলের অন্য স্বাধীন রাষ্ট্রগুলো হচ্ছে ব্রুনেই (বোর্নিউ দ্বীপের উত্তরাংশ), পূর্ব টিমোর (নিম্ন সুন্দার টিমোর দ্বীপের পূর্বাংশ, পশ্চিমাংশ ইন্দোনেশিয়ার অধীন), মালয়েশিয়া (কেবল পূর্বাংশ: বোর্নিও দ্বীপের সাবাহ এবং সারাওয়াক) এবং পাপুয়া নিউ গিনি।",
"ইন্দোনেশিয়ার ইতিহাস\nইন্দোনেশিয়ার ইতিহাস হল ইন্দোনেশিয়ার ভৌগলিক অবস্থান, প্রাক্রিতিক সম্পদ, মানব অভিবাসন, যুদ্ধ ও বিজয় এবং বাণিজ্য, অর্থনীতি ও রাজনীতি বিষয়ক আলোচনা। ইন্দোনেশিয়া ১৭,০০০ থেকে ১৮,০০০ দ্বীপ নিয়ে গঠিত দ্বীপবহুল রাষ্ট্র, যার ৮,৮৪৪ নামকরণ করা হয়েছে এবং ৯২২টিতে স্থায়ী জনবসতি রয়েছে। দেশটির কৌশলগত সামুদ্রিক অবস্থান আন্ত-দ্বীপ ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য প্রসারে ভূমিকা পালন করছে, ফলে বাণিজ্য ইন্দোনেশিয়ার ইতিহাসের রূপায়নে প্রত্যক্ষ ভূমিকা পালন করে আসছে। ইন্দোনেশিয়ায় বিভিন্ন অঞ্চল থেকে অভিবাসিত হয়ে লোকজন বসবাস করছে, ফলে এখানে সংস্কৃতি, জনগোষ্ঠী, ও ভাষার বৈচিত্র দেখা যায়। দ্বীপবহুল ভূমি ও জলবায়ু কৃষি ও বাণিজ্য বিস্তারে ও রাষ্ট্র গঠনে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রেখেছে।",
"কালিমান্তান\nইন্দোনেশীয় অঞ্চলে দ্বীপটি ৭৩% পরেছে, ৬৯.৫% (২০১০-এর ইন্দোনেশিয়ার আদমশুমারি অনুযায়ী ১৩,৭৭৩,৫৪৩জন) জনসংখ্যা অনুসারে। বর্নিয় দ্বীপের অ-ইন্দোদেশীয় অংশটি ব্রুনাই (৪,০০,০০০) এবং পূর্ব মালয়েশিয়া (৫৬,২৫,০০০) নিয়ে গঠিত, যা পরবর্তীতে সাবাহ রাষ্ট্র, সারাওয়াক রাষ্ট্র এবং লাবুয়ান যুক্তরাষ্ট্রীয় অঞ্চল গঠন করে। ইন্দোনেশীয় এলাকায় এই অঞ্চলটিকে ইন্দোনেশীয় ব্রুনিয় নামেও ডাকা হয়।",
"ইন্দোনেশিয়া\nইন্দোনেশিয়া বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ জীববৈচিত্র্যের দেশ (ব্রাজিলের পর)। এর জীব ও উদ্ভিদ শ্রেণীর মধ্যে এশীয় ও অস্ট্রেলীয় সংমিশ্রণ দেখা যায়। সুমাত্রা, জাভা, বোর্নিও এবং বালিতে এশীয় প্রাণীদের বিচিত্র সমারোহ। এখানে রয়েছে হাতি, বাঘ, চিতা, গণ্ডার ও বৃহদাকার বানর। দেশের প্রায় ৬০ শতাংশ বনভূমি। অস্ট্রেলিয়ার কাছাঁকাছি অবস্থিত পাপুয়ায় ৬০০ প্রজাতির পাখির বাস। পাখিদের ২৬ শতাংশ পৃথিবীর অন্য কোথাও পাওয়া যায় না। দেশটির সমুদ্র উপকূলের দৈর্ঘ্য ৮০ হাজার কিলোমিটার। দেশটির জীববৈচিত্র্যের প্রধান কারণ এ দীর্ঘ উপকূলরেখা। দ্রুত শিল্পায়নের ফলে পরিবেশগত বিপর্যয় দেখা দিয়েছে।"
] | 14 |
বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রী শাবনূরের অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্রের নাম কী ? | [
"শাবনূর অভিনীত চলচ্চিত্রের তালিকা\nᐑᐔᐖ\nশাবনূর বাংলাদেশের চলচ্চিত্র ইতিহাসের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী। ৯০ দশক থেকে এ পর্যন্ত আসা চিত্র তারকাদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় চিত্র তারকা হিসেবে বিবেচনা করা হয় তাকে। প্রখ্যাত চলচ্চিত্রকার এহতেশাম পরিচালিত \"চাঁদনী রাতে\" সিনেমার মাধ্যমে চলচ্চিত্রে আগমন শাবনূরের। প্রথম ছবি ব্যর্থ হলেও পরে হার্টথ্রব নায়ক সালমান শাহের সাথে জুটি গড়ে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পান। একে একে এ জুটি সুপারহিট ছবি দিতে থাকেন। সালমানের অকাল মৃত্যুতে সাময়িক ভাবে শাবনূরের ক্যারিয়ার হুমকির মুখে পড়লেও তার চিরায়ত বাঙালি প্রেমিকার ইমেজ এবং অসাধারন অভিনয় ক্ষমতা তাকে দর্শকদের হৃদয়ে শক্ত আসন গড়তে সাহায্য করে। পরে রিয়াজ, শাকিল খান, ফেরদৌস আহমেদ ও শাকিব খান সাথে জনপ্রিয় জুটি গড়ে বেশ কিছু জনপ্রিয় ছবি উপহার দেন।",
"শাবনূর\nশাবনূরের প্রথম চলচ্চিত্র \"চাঁদনী রাতে\" ১৯৯৩ সালে মুক্তি পায়। ছবিটি পরিচালনা করেন এহতেশাম এবং তার বিপরীতে নায়ক ছিল সাব্বির। এই ছবিটি ব্যর্থ হয়। পরে চিত্র নায়ক সালমান শাহের সাথে জুটি বেধে ১৪টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন যার প্রায় সবগুলোই ছিল ব্যবসায়িক মানদন্ডে সফল। সালমান শাহ-শাবনূর জুটির প্রথম ছায়াছবি জহিরুল হক পরিচালিত \"তুমি আমার\" ১৯৯৪ সালে মুক্তি পায়। একই বছর শাহ আলম কিরণ তাদের নিয়ে ফারুক-কবরী জুটির \"সুজন সখী\" চলচ্চিত্রের রঙিন পুনঃনির্মাণ \"সুজন সখি\" নির্মাণ করেন। ১৯৯৫ সালে \"স্বপ্নের ঠিকানা\", ১৯৯৬ সালে \"স্বপ্নের পৃথিবী\", \"তোমাকে চাই\", ১৯৯৭ সালে শিবলি সাদিক পরিচালিত \"আনন্দ অশ্রু\" এ জুটির উল্লেখযোগ্য ছবি। পরে তিনি নায়ক রিয়াজ এর বিপরীতে অভিনয় করে দারুন সফলতা অর্জন করেন। রিয়াজের বিপরীতে ১৯৯৭ সালে \"মন মানেনা\" ও \"তুমি শুধু তুমি\" এবং ১৯৯৯ সালে অভিনীত \"ভালবাসি তোমাকে\" ও \"বিয়ের ফুল\" ছায়াছবিগুলো ব্যবসা সফল হয়। পাশাপাশি তিনি অভিনেতা ফেরদৌসের সাথেও সফল হন। এছাড়াও তিনি মান্না, শাকিব খানের সাথে অভিনয় করে সফল হয়েছেন। এসময়ে তিনি \"ভালবাসি তোমাকে\" চলচ্চিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে বাচসাস পুরস্কার লাভ করেন এবং ১৯৯৮ ও ১৯৯৯ সালের চলচ্চিত্রের জন্য পর্যন্ত টানা দুইবার তারকা জরিপে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র অভিনেত্রী বিভাগে মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার লাভ করেন।",
"শাবনূর\nশাবনূর (জন্ম: ১৭ ডিসেম্বর, ১৯৭৯) বাংলাদেশের চলচ্চিত্র ইতিহাসের তুমুল জনপ্রিয় অভিনেত্রী। ৯০ দশক থেকে এ পর্যন্ত আসা চিত্র তারকাদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় চিত্র তারকা হিসেবে বিবেচনা করা হয় তাকে। প্রখ্যাত চলচ্চিত্রকার এহতেশাম পরিচালিত \"চাঁদনী রাতে\" সিনেমার মাধ্যমে চলচ্চিত্রে আগমন শাবনূরের। প্রথম ছবি ব্যর্থ হলেও পরে সালমান শাহের সাথে জুটি গড়ে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পান। একে একে এ জুটি সুপারহিট ছবি দিতে থাকেন। সালমানের অকাল মৃত্যুতে সাময়িক ভাবে শাবনূরের ক্যারিয়ার হুমকির মুখে পড়লেও তার চিরায়ত বাঙালি প্রেমিকার ইমেজ এবং অসাধারন অভিনয় ক্ষমতা তাকে দর্শকদের হৃদয়ে শক্ত আসন গড়তে সাহায্য করে। পরে রিয়াজ, শাকিল খান, ফেরদৌস ও শাকিব খান এর সাথে জনপ্রিয় জুটি গড়ে অসংখ্য ব্যবসাসফল ও জনপ্রিয় ছবি উপহার দেন। ক্যারিয়ারের শেষের দিকে ছিপছিপে গড়ন ও সুশ্রী চেহারার এই অসম্ভব সুন্দরী নায়িকা মুটিয়ে গেলে সমালোচিত হন। বর্তমানে তিনি অস্ট্রেলিয়াতে পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন। শোনা যাচ্ছে তিনি চলচ্চিত্রে কামব্যাক করার পরিকল্পনা করেই নিজেকে প্রস্তুত করছেন এখন।"
] | [
"রিয়াজ\nরিয়াজ-শাবনূর বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে একটি সফল জুটি গড়ে উঠে। তাঁদের এই জুটি দর্শকদের বেশ কিছু সুন্দর সিনেমা উপহার দিয়েছে। এই জুটি বাংলাদেশের চলচ্চিত্র ইতিহাসের অন্যতম জনপ্রিয় জুটি হিসেবে পরিচিত। ১৯৯৭ সালে এই জুটির প্রথম ছবি মন মানেনা মুক্তি পায। এটি পরিচালনা করেছেন চলচ্চিত্রকার মতিন রহমান। এবং চলচ্চিত্রটি আশানুরূপ দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছিল। সালমান শাহ'র অকাল মৃত্যুর পর সালমানের পরিবর্তে এই ছবিতে অভিনয় করেন রিয়াজ। মৃত্যুর আগে ছবির প্রায় ৫০ শতাংশ কাজ শেষ করেছিলেন সালমান। ১৯৯৮ সালে মহাম্মদ হান্নান পরিচালিত \"ভালোবাসি তোমাকে\" চলচ্চিত্রটি দারুন জনপ্রিয়তা লাভ করে। ২০০১ সালে এই জুটির একটি সফল চলচ্চিত্র হল \"প্রেমের তাজমহল\"। গাজী মাহাবুব পরিচালিত এই চলচ্চিত্রটি বাংলা ছবির মন্দা কাটাতে দারুণ ভুমিকা রাখে। চলচ্চিত্রটি মুক্তির পর ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে এবং তাঁরা নতুন করে আলোচনায় উঠে আসেন। এই জুটির আরো একটি চলচ্চিত্র ও প্রিয়া তুমি কোথায় এটি পরিচালনা করেছেন শাহাদাত হোসেন লিটন। এ চলচ্চিত্রে আরও অভিনয় করেন বর্তমান চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনেতা শাকিব খান। এটির নামকরণ করা হয় তারকা সংগীত শিল্পী আসিফ আকবর এর জনপ্রিয় গান \"ও প্রিয়া তুমি কোথায়\" শিরোনাম অনুসরণ করে। ছবিটি সে সময় ব্যাবসায়িকভাবে ভালো সফলতা লাভ করে। \"হৃদয়ের বন্ধন\" এই জুটির অন্যতম একটি সফল চলচ্চিত্র। বিখ্যাত পরিচালক এফ আই মানিক পরিচালিত এই চলচ্চিত্রটি সেসময় দর্শকদের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলতে সক্ষম হয়। ২০০৫ সালে মুক্তি পায় মোল্লা বাড়ীর বউ চলচ্চিত্রটি, রিয়াজ-শাবনূর জুটিকে বড় আকারের সফলতা এনে দেয় এটিও। চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেন টিভি নির্মাতা সালাউদ্দিন লাভলু। এটি প্রযোজনা করেন মনের মাঝে তুমি ছবির পরিচালক মতিউর রহমান পানু। এছাড়াও রয়েছে এই জুটির উল্লেখযোগ্য আরো বেশ কয়েকটি সফল চলচ্চিত্র। রিয়াজ-শাবনূর জুটি এই পর্যন্ত প্রায় চল্লিশটিরও বেশি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। রিয়াজ-শাবনূর জুটি অভিনীত সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র \"শিরি ফরহাদ\" মুক্তি পায় ২২শে মার্চ ২০১৩ সালে যা গাজী মাহবুব পরিচালনা করেন।",
"শাবানা অভিনীত চলচ্চিত্রের তালিকা\nশাবানা একজন বাংলাদেশী কিংবদন্তী চলচ্চিত্র অভিনেত্রী। শিশুশিল্পী হিসেবে \"নতুন সুর\" চলচ্চিত্রে তাঁর চলচ্চিত্রে আবির্ভাব ঘটে। পরে ১৯৬৭ সালে চকোরী চলচ্চিত্রে চিত্রনায়ক নাদিমের বিপরীতে প্রধান নারী চরিত্রে অভিনয় করেন। শাবানার প্রকৃত নাম রত্না। চিত্র পরিচালক এহতেশাম \"চকোরী\" চলচ্চিত্রে তাঁর শাবানা নাম প্রদান করেন। তাঁর পূর্ণ নাম আফরোজা সুলতানা। পৈতৃক বাড়ি চট্টগ্রাম জেলার রাউজান উপজেলার ডাবুয়া গ্রামে। তিনি তার ৩৬ বছর কর্মজীবনে ২৯৯টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। এর মধ্যে সর্বাধিক ১৩০টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন আলমগীরের বিপরীতে। শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে ৯ বার ও প্রযোজক হিসেবে ১ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন এবং ২০১৭ সালে আজীবন সম্মাননায় ভূষিত হন।",
"মনতাজুর রহমান আকবর\n২০০১ সালে তিনি পরিচালনা করেন \"কঠিন বাস্তব\"। রিয়াজ, আমিন খান ও কেয়া অভিনীত ছায়াছবিটি এই বছর হিট সিনেমার তালিকায় নাম লেখায়। এটি চিত্রনায়িকা কেয়ার প্রথম চলচ্চিত্র। একই বছর বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ প্রযোজনায় নির্মাণ করেন মনে পড়ে তোমাকে। এতে প্রথমবারের মত বাংলাদেশী ও বাংলা ছায়াছবিতে অভিনয় করেন কলকাতার অভিনেত্রী রিয়া সেন। ২০০৩ সালে পরিচালনা করেন \"বিগ বস\"। এই চলচ্চিত্রের একটি গানের কথাও লিখেছেন তিনি। ২০০৪ সালে মুক্তি পায় আমিন খান অভিনীত \"জীবনের গ্যারান্টি নাই\" ও \"ভন্ড নেতা\" এবং মান্না ও মৌসুমী অভিনীত \"ভাইয়ের শত্রু ভাই\"। ২০০৯ সালে ডিপজল ও রেসিকে নিয়ে নির্মাণ করেন \"কাজের লোক\"। ছায়াছবিটি সমালোচকদের প্রশংসা অর্জন করে এবং তিনি জনতার নিঃস্বার্থ পারসোনালিটি অ্যাওয়ার্ডে সেরা পরিচালকের পুরস্কার অর্জন করেন। একই বছর রিয়াজ ও শাবনূর জুটিকে নিয়ে নির্মাণ করেন রোমান্টিক ঘরানার \"তুমি আমার স্বামী\"। ২০১০ সালে সঙ্গীতশিল্পী এসডি রুবেল ও শাবনূরকে নিয়ে নির্মাণ করেন 'এভাবেই ভালোবাসা হয়\"। এছাড়া ডিপজল ও রেসীকে নিয়ে নির্মাণ করেন \"রিকশাওয়ালার ছেলে\" ও \"মায়ের চোখ\"।",
"শাবানা\nশাবানা একজন বাংলাদেশী কিংবদন্তী চলচ্চিত্র অভিনেত্রী। শিশুশিল্পী হিসেবে \"নতুন সুর\" চলচ্চিত্রে তাঁর চলচ্চিত্রে আবির্ভাব ঘটে। পরে ১৯৬৭ সালে চকোরী চলচ্চিত্রে চিত্রনায়ক নাদিমের বিপরীতে প্রধান নারী চরিত্রে অভিনয় করেন। শাবানার প্রকৃত নাম রত্না। চিত্র পরিচালক এহতেশাম \"চকোরী\" চলচ্চিত্রে তাঁর শাবানা নাম প্রদান করেন। তাঁর পূর্ণ নাম আফরোজা সুলতানা। পৈতৃক বাড়ি চট্টগ্রাম জেলার রাউজান উপজেলার ডাবুয়া গ্রামে। তিনি তার ৩৬ বছর কর্মজীবনে ২৯৯টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। ষাট থেকে নব্বই দশকে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে ছিলেন এই অভিনেত্রী। ২০০০ সালে রূপালী জগৎ থেকে নিজেকে আড়াল করে ফেলেন এ নায়িকা। দীর্ঘ কর্মজীবনে তিনি অভিনয়ের জন্য ৯ বার ও প্রযোজক হিসেবে ১ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন এবং ২০১৭ সালে আজীবন সম্মাননায় ভূষিত হন।",
"সিদ্দিকুর রহমান (অভিনেতা)\nসিদ্দিকুর রহমান সিদ্দিক বাংলাদেশের টেলিভিশন নাটকের একজন অভিনেতা। তিনি এক পর্বের টেলিভিশন নাটক ও ধারাবাহিকে বেশিরভাগ সময় কমেডি চরিত্রে অভিনয় করে থাকেন। ২০১৩ সালে তার অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র ‘এই তো ভালোবাসা’ মুক্তি পেয়েছিল। তার বিপরীতে নায়িকা ছিলেন অভীনেত্রী নিপুন। সিদ্দিক অভিনীত কিছু জনপ্রিয় নাটক ও ধারাবাহিক হলো, কবি বলেছেন, হাউসফুল, গ্র্যাজুয়েট, মাইক, হাম্বা, বন্ধু এবং ভালোবাসা, সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ, ড্যান্স ডিরেক্টর, আমি নাটক বানাতে চাই, চৈতা পাগল, বরিশালের মামা ভাগ্নে, আমাদের সংসার, চন্দ্র বিন্দু ও রেডিও চকলেট।",
"ফেরদৌস আহমেদ\nফেরদৌস আহমেদ (জুন ৭, ১৯৭২) বিংশ শতাব্দীর শেষ দশকে আবির্ভূত একজন জনপ্রিয় বাংলাদেশী চলচ্চিত্র অভিনেতা। তাঁর অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র প্রয়াত নায়ক সালমান শাহ এর অসমাপ্ত কাজ \"বুকের ভিতর আগুন\", এটির পরিচালক ছিলেন ছটকু আহমেদ।\nবাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্পে তাঁর অনবদ্য অভিনয়ের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশ সরকার তাঁকে চারবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র অভিনেতার পুরস্কারে ভূষিত করেছে। এগুলো হচ্ছে হঠাৎ বৃষ্টি (১৯৯৮), গঙ্গাযাত্রা (২০০৯), কুসুম কুসুম প্রেম (২০১১), ও এক কাপ চা (২০১৪)।\nফেরদৌস অভিনীত সফল চলচ্চিত্রের মধ্যে হঠাৎ বৃষ্টি (১৯৯৮), চুপি চুপি (২০০১), এই মন চায় যে (২০০১), সবার উপরে প্রেম (২০০২), প্রেমের জ্বালা (২০০২), বউ-শাশুড়ির যুদ্ধ (২০০৩), প্রাণের মানুষ (২০০৩), চন্দ্রকথা (২০০৩), ফুলের মত বউ (২০০৪), দুই নয়নের আলো (২০০৫), খায়রুন সুন্দরী (২০০৪), গোলাপী এখন বিলাতে (২০১০), গেরিলা (২০১১) অন্যতম। এছাড়াও ফেরদৌস আহমেদ চ্যানেল আই সেরা নাচিয়ে, নৃত্য অনুষ্ঠানের প্রধান বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন।",
"শাবনূর অভিনীত চলচ্চিত্রের তালিকা\nশাবনূর ২০০৫ সালে মোস্তাফিজুর রহমান মানিক পরিচালিত \"দুই নয়নের আলো\" ছবিতে অভিনয় করে তার ক্যারিয়ারের একমাত্র জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। তারকা জরিপে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র অভিনেত্রী বিভাগে রেকর্ড পরিমান ১০ বার মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার জিতে তিনি প্রমান করেন শাবনূর বাংলা চলচ্চিত্রের এক মহা তারকার নাম।"
] | 76 |
ইসলাম ধর্মের প্রথম স্তম্ভের নাম কী ? | [
"ইব্রাহিমীয় ধর্মে ঈশ্বর\nইসলাম ধর্মে, ঈশ্বরকে মনে করা হয় সর্বশ্রেষ্ঠ, সর্বশক্তিমান এবং সর্বজ্ঞ স্রষ্টা যিনিই বিশ্বজগতের প্রতিপালক এবং পরকালের বিচারক। ইসলাম কঠোরভাবে ঈশ্বরের একত্ববাদে (তাওহীদ) বিশ্বাসের উপর জোর রাখে। বলা হয় তিনি অনন্য (ওয়াহিদ) এবং এক (আহাদ), পরম দয়ালু এবং সর্বশক্তিমান। কুরআন অনুযায়ী ঈশ্বরের ৯৯টি নাম আছে (আল-আসমাউল হুসনা যার অর্থ: \"সৌন্দর্যমন্ডিত নামসমূহ\") যার প্রত্যেকটি ঈশ্বরের একটি স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যের পরিচয় বহন করে। এই সকল নাম সর্বোৎকৃষ্ট এবং সমস্ত ব্যাপক ঐশ্বরিক আরবি নাম আল্লাহকে নির্দেশ করে। এই ৯৯টি নামের মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত এবং প্রায় ব্যবহৃত নাম হল \"দয়াময়\" (আল-রহিম) এবং \"পরম দয়ালু\" (আল-রহমান)।"
] | [
"ইসলাম\nমুসলমানগণ বিশ্বজগতের সৃষ্টিকর্তাকে 'আল্লাহ' বলে সম্বোধন করেন। ইসলামের মূল বিশ্বাস হলো আল্লাহর একত্ববাদ বা তৌহিদ। আল্লাহর একত্বের সাক্ষ্য দেওয়া ইসলামের পাঁচটি মূল স্তম্ভের মধ্যে প্রথম, যাকে বলা হয় শাহাদাহ। এটি পাঠের মাধ্যমে একজন স্বীকার করেন যে, আল্লাহ্ ব্যতীত অন্য কোনো উপাস্য নাই এবং মুহাম্মদ [(সাঃ)] তাঁর প্রেরিত বাণীবাহক বা রাসূল\nসুরা এখলাছে আল্লাহর বর্ণনা দেয়া হয়েছে এভাবে,\nআল্লাহ্ শব্দটি আল এবং ইলাহ যোগে গঠিত। আল অর্থ সুনির্দিষ্ট এবং ইলাহ অর্থ উপাস্য, যার অর্থ সুনির্দিষ্ট উপাস্য। খৃস্টানগণ খৃস্ট ধর্মকে একেশ্বরবাদী বলে দাবী করলেও মুসলিমগণ খৃস্টানদের ত্রিত্ববাদ (trinity) বা এক ঈশ্বরের মধ্যে পিতা, পুত্র ও পবিত্র আত্মার মিলন, এই বিশ্বাসকে অস্বীকার করেন। ইসলামি ধারণায় আল্লাহ সম্পূর্ণ অতুলনীয় ও পৌত্তলিকতার অসমতুল্য, যার কোনোপ্রকার আবয়বিক বর্ণনা অসম্ভব। মুসলিমরা তাদের সৃষ্টিকর্তাকে বর্ণনা করেন তাঁর বিভিন্ন গুণবাচক নাম ও গুণাবলীর মাধ্যমে।\nকিতাবুল ঈমানে আল্লাহর বর্ণনা এভাবে আছে : \nমুসলিমরা বিশ্বাস করে, আল্লাহর বর্ণনা মানুষের কল্পনা, বিজ্ঞান, দর্শন দ্বারা জানা সম্ভব না।",
"ইব্রাহিমীয় ধর্ম\nপৃথিবীর প্রথম মানব হযরত আদম আঃ হতেই ইসলাম ধর্মের শুরু। হযরত আদম (এডাম) ইসলামের প্রথম নবী । আর ৫৭০ খ্রিস্টাব্দে জন্ম নেয়া এই ধর্মের সর্বশেষ নবী হযরত মোহাম্মদ (স:), পূর্বতন সকল ধর্মপ্রচারকদের আল্লাহ (ঈশ্বর) কর্তৃক প্রেরিত সতর্ককারী হিসেবে মেনে নিয়ে, তিনিই সর্বশেষ সতর্ককারীরূপে ইসলাম ধর্ম প্রচার করেন। ইসলাম ধর্মের মূল বিশ্বাস হলো: আল্লাহ'র কোনো অংশীদার নেই এবং মুহাম্মদ (স:) আল্লাহর বাণীবাহক। এই ধর্মের মূল ধর্মগ্রন্থ কোরআন, আর কুরআন ব্যাখ্যায় দ্বারস্থ হতে হয় হাদিস সংকলনসমূহের উপর। এই ধর্মের উল্লেখযোগ্য দিক হলো, জীবনযাত্রার সর্বত্র, যেমন রাজনীতি, সমাজনীতি, পোশাক, খাদ্য, মেলামেশা ইত্যাদিতে এই ধর্ম নিজেকে জড়িয়ে আত্মপ্রকাশ করে। এই ধর্ম সর্বতোভাবে মুসলমান জাতির পূর্বপুরুষ হিসেবে ইব্রাহিম (আ:) কে উল্লেখ করে থাকে। এছাড়া অন্যান্য নবীদেরকেও আল্লাহ'র প্রেরিত পুরুষ হিসেবে স্বীকার ও সম্মান করে।",
"ইসলামের পঞ্চস্তম্ভ\nইসলাম ধর্মের পাঁচটি স্তম্ভ আছে । স্তম্ভগুলো হল-কালেমা শাহাদাত বলতে মূলত:এখানে বুঝানো হয়েছে কালেমায়ে শাহাদাত মুখে বলা ও অন্তরে বিশ্বাস করা ৷ এই বিশ্বাসকে বলা হয় \"'ঈমান\"‘৷",
"ইসলাম\nঅনেকের ধারণা যে, মুহাম্মদ হলেন এই ধর্মের প্রবর্তক। তবে মুসলমানদের মতে, তিনি এই ধর্মের প্রবর্তক নন, বরং আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রেরিত সর্বশেষ ও চূড়ান্ত রাসূল (পয়গম্বর)। খ্রিষ্টীয় সপ্তম শতকে তিনি এই ধর্ম পুনঃপ্রচার করেন। পবিত্র কুরআন ইসলাম ধর্মের মূল ধর্মগ্রন্থ। এই ধর্মে বিশ্বাসীদের মুসলমান বা মুসলিম বলা হয়। মুসলিমরা যেকোনো জাতি, বর্ণের মানুষকে ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত হতে উৎসাহিত করে। মুসলমানরা বিশ্বাস করেন, কুরআন গ্রন্থটি আল্লাহর বাণী এবং এটি তার দ্বারা স্বর্গীয় দূত জিব্রাইল-এর মাধ্যমে মুহাম্মদ-এর নিকট প্রেরিত। তাদের বিশ্বাস অনুসারে মুহাম্মদ স্রষ্টার সর্বশেষ বার্তাবাহক। মুসলমানরা বিশ্বাস করে যে ইসলাম হচ্ছে একটি পরিপূর্ণ ও সার্বজনীন ধর্ম এবং কুরআন হচ্ছে সর্বোত্তম জীবন বিধান।",
"আজান ফকীর সাহেব\n১৬৩৪ সালে ইছলাম ধর্ম প্রচারক সন্ত আজান ফকীর (প্রকৃত নাম - শাহ মীরান) তাঁর ভাই নবী পীরের সাথে বাগদাদ থেকে অসম-এ প্রব্রজন করেছিলেন। বলা হয় যে, তাঁকে প্রথমে দিল্লীনিয়ে আসা হয়েছিল এবং তারপর তিনি সুফী সন্ত শেখ নিজামুদ্দিন আউলিয়ার শিষ্য হয়েছিলেন। সেখান থেকে তিনি এসে হাজার গরুড়াচল পাহাড়এর ওপরে থাকা পীর গিয়াসুদ্দিন আউলিয়ার দরগাহের কাছে থাকতেন। হাজা সেই সময়ে অসমে মোগলদের মুখ্য স্থান ছিল। তারপরে তিনি আহোম রাজধানী শিবসাগরএর কাছে \"চূণপোরা\" নামক একটি মুসলমান গ্রামে থাকার জন্য যান । সেই সময়ে কিছু ধর্মবিরোধী রীতি-নীতিতে লিপ্ত থাকা মুসলমানদের মধ্যে তিনি ইসলাম ধর্মের প্রাথমিক ধারণাসমূহ ও মৌলিক কর্তব্যসমূহ প্রচার করেন। তিনি গ্রামেতে একটি মসজিদও প্রতিষ্ঠা করেন। সেই মসজিদে প্রথম আজান তিনি দেন ও সেইজন্য চূণপোরা গ্রামের মুসলমান সম্প্রদায় তাঁকে আজান ফকীর নাম দেয়। রংপুরের খণ্ডকার গ্রামের সৈয়দ উসমান গণি নামে একজন ব্যক্তির মেয়েকে তিনি বিয়ে করেন। তিনি গ্রামে গ্রামে ঘুরে ইসলাম ধর্মের বাণীসমূহ প্রচার করার সাথে ইসলাম ধর্মগ্রন্থ কোরানকে অসমীয়ায় অনুবাদ করেন। জিকির নামে তিনি কিছু ভক্তিমূলক গান লেখেন ও সুর দেন। জিকিরে তিনি ইসলাম ধর্মের বাণীসমূহ বর্ণনা করার সাথে বন্ধুত্ব ও ভ্রাতৃত্ববোধর প্রয়োজনীয়তা দেখান।",
"জেরুসালেমের ধর্মীয় গুরুত্ব\n৫৭০ খ্রিষ্ট্রাব্দে জন্মগ্রহন করা, মুহাম্মদকে মুসলমানরা আল্লাহর দূত হিসেবে বিশ্বাস করে। তিনি এই পরিপ্রেক্ষির সংষ্কার করেন যে, নামাজের মাধ্যমেই আল্লাহর ইবাদত করা, আল্লাহর বানী পাঠ করা এবং কেবল আল্লাহর ইবাদত করা। মুহাম্মদ নিজেকে ইহুদি-খ্রিষ্টান ধর্মের শেষ নবী হিসেবে ঘোষনা করেন এবং তিনি তৃতীয় আব্রাহামিক ধর্ম: ইসলাম প্রতিষ্ঠা করেন। ইসলাম ধর্মমতে এখান হতে ইসলামের নবী মুহাম্মদ (সা.) ঐশ্বরিক উপায়ে ঊর্ধ্বাকাশে আরোহণ করেছিলেন এবং স্রষ্টার সাথে সাক্ষাৎ করেন, আর এই রাতটি ইসলাম ধর্মে লাইলাতুল মেরাজ নামে পরিচিত এবং এই মেরাজের মাধ্যমেই ইসলাম ধর্মের পঞ্চস্তম্ভের দ্বিতীয় স্তম্ভ অর্থাৎ নামাজ মুসলমানদের জন্য অত্যাবশ্যক অর্থাৎ (ফরজ) নির্ধারণ করা হয় এবং দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের বিধান নির্দিষ্ট করা হয়, যা এখনও ব্যবহৃত হচ্ছে। কুব্বাত আস সাখরা (আরবি: قبة الصخرة, হিব্রু ভাষায়: כיפת הסלע) (ডোম অব দ্য রক বলেও পরিচিত) জেরুজালেমের পুরনো শহরের টেম্পল মাউন্টের (হারাম আল-শরিফ) উপর অবস্থিত একটি গম্বুজ। উমাইয়া খলিফা আবদুল মালিক ইবনে মারওয়ানের আদেশে ৬৯১ সালে এর নির্মাণ সমাপ্ত হয়। বর্তমানে এটি ইসলামী স্থাপত্যের সর্বপ্রাচীন নমুনা। এটিকে \"জেরুজালেমের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য স্থান\" ও \"সমগ্র ইসরায়েলের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য স্থান\" বলে উল্লেখ করা হয়। গম্বুজের কেন্দ্রীয় পরিকল্পনা কাঠামো চার্চ অব দ্য হলি সেপালকারের মত। উমাইয়া স্থাপত্যে বাইজেন্টাইন প্রভাবের উদাহরণ এ থেকে পাওয়া যায়।",
"শাহ মখদুম\nশাহ মখদুম রূপোশ (১২১৬-১৩১৩ খ্রিস্টাব্দ) বাংলার প্রথিতযশা সুফী সাধক এবং ধর্ম-প্রচারকদের মধ্যে অন্যতম। তিনি ত্রয়োদশ শতাব্দীর শেষার্ধে এবং চতুর্দশ শতাব্দীর শুরুতে বাংলাদেশ তথা রাজশাহী অঞ্চলে ইসলামের সুমহান বানী প্রচার করেছিলেন। তার অনুপম ব্যাক্তিত্বে মুগ্ধ হয়ে শত শত মানুষ ইসলাম ধর্মে দীক্ষা গ্রহণ করেন। মূলত শাহ মখদুমের মাধ্যমেই বরেন্দ্র এবং গৌড় অঞ্চলে ইসলাম ধর্ম বিস্তার লাভ করে। বর্তমানে এসব অঞ্চল মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চল। শাহ মখদুমের প্রকৃত নাম আব্দুল কুদ্দুস। ধর্ম এবং জ্ঞান সাধনায় অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করার জন্য বিভিন্ন সময়ে তার নামের সাথে “শাহ”, “মখদুম”, “রূপোশ” ইত্যাদি উপাধি যুক্ত হয়। তিনি শাহ মখদুম রূপোশ নামেই সারা পৃথিবীতে বিখ্যাত।",
"গিরিশ চন্দ্র সেন\nগিরিশচন্দ্র সেন (জন্ম: ১৮৩৪ - মৃত্যু: ১৯১০)। ভাই গিরিশচন্দ্র সেন নামে তিনি অধিক পরিচিত। তাঁর প্রধান পরিচয় ইসলাম ধর্মের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কুরআন- এর প্রথম বাংলা অনুবাদক হিসেবে। তখন প্রায় ধর্মগ্রন্থ সম্পর্কে সাধারণ মানুষের ধারণা ছিল যে, মূলভাষা থেকে অনূদিত হলে গ্রন্থটির পবিত্রতা ক্ষুণ্ন হবে। পবিত্র কুরআন সম্পর্কেও এমন ধারণা ছিল। এ কারণে অনেক মুসলিম মনীষী এর বঙ্গানুবাদ করতে সাহস পাননি। গিরিশচন্দ্র সেনই অন্য ধর্মালম্বী হয়েও এই ভয়কে প্রথম জয় করেন। শুধু কুরআন শরীফের অনুবাদ নয় তিনি ইসলাম ধর্ম বিষয়ক অনেক গ্রন্থ অনুবাদ করেন। তিনি ইসলাম ধর্ম নিয়ে অনেক গবেষণাও করেন।",
"ইসলামের পয়গম্বর\nকয়েকজন বার্তাবাহক বা পয়গম্বরের নাম কুরআনে উল্লেখিত আছে। মুসলিমগণ বিশ্বাস করে আদম(আ.). হলেন প্রথম পয়গম্বর, পক্ষান্তরে শেষ পয়গম্বর হলেন মুহাম্মদ (সা.), তাই তার উপাধি, নবীদের সিলমোহর। খ্রীষ্টধর্মের মতই ইসলামেও ঈসা (আ.)-এর (জেসাস) জন্ম কৌমারিকেয় জন্মের ফসল এবং তিনি নবী হিসাবে বিবেচিত হন কারণ আল্লাহর নিকট হতে তিনি ওহী প্রাপ্ত। জেসাস একজন বার্তাবাহক হিসেবেও বিবেচিত হন কারণ আল্লাহ তার নিকট সুসমাচার অবতীর্ণ করছিলেন। অবশ্য, খ্রীষ্টধর্মের বিপরীতে, ইসলাম ধর্মে, তাকে আল্লাহর পুত্র দাবি করার বিরোধী করা হয় এবং জেসাস একজন মানুষ হিসাবেই বিবেচিত হন।"
] | 55 |
চিকিৎসা শাস্ত্রের জনক কে ? | [
"চিকিৎসা বিজ্ঞান\nমহান গ্রিক চিকিৎসক হিপোক্রেটিস কে চিকিৎসাবিজ্ঞানের জনক বলা হয়ে থাকে। প্রাচীন গ্রেকো-লাতিন সংস্কৃতিরর আরেকজন বিখ্যাত চিকিৎসক হলেন গ্যালেন।",
"চিকিৎসা বিজ্ঞান\nমধ্যযুগে মুসলিম বিজ্ঞানীদের হাতে চিকিৎসাক্ষেত্রে প্রভূত উন্নতি সাধিত হয়। মুসলিম বিজ্ঞানীদের মধ্যে আবু আলী হোসাইন ইবনে সিনা সবচেয়ে বিখ্যাত। মধ্যযুগীয় জ্ঞান-বিজ্ঞানের ভিত রচনায় তার অবদান অনস্বীকার্য। তার মূল অবদান ছিল চিকিৎসা শাস্ত্রে। তিনি চিকিৎসা শাস্ত্রের বিশ্বকোষ আল-কানুন ফিত-তীব রচনা করেন যা ঊনবিংশ শতাব্দী পর্যন্তও প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল প্রতিষ্ঠানসমূহে পাঠ ছিল। আরবিতে ইবন সীনাকে আল-শায়খ আল-রাঈস তথা জ্ঞানীকুল শিরোমণি হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। পশ্চিমে তিনি \"অ্যাভিসিনা\" নামে পরিচিত। তাঁকে চিকিৎসাবিজ্ঞানের একজন জনক হিসেবে সম্মান করা হয়ে থাকে।"
] | [
"মাইকেল রসব্যাশ\nমাইকেল মরিস রসব্যাশ (জন্মঃ ৭ মার্চ, ১৯৪৩) একজন আমেরিকান জেনেটিসিস্ট ও ক্রোনোবায়োলজিস্ট। তিনি ২০১৭ সালে চিকিৎসা শাস্ত্রে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। তিনি ব্র্যানডেইস বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। তিনি হাওয়ার্ড হিউজেস মেডিকেল ইন্সটিটিউট এর একজন গবেষক। রসব্যাশ ও তার \nগবেষক দল ১৯৮৪ সালে ড্রসোফিলা পিরিয়ড জিনের প্রতিরূপ তৈরি করতে সক্ষম হন\nএবং সারকাডিয়ান ক্লকের জন্য ১৯৯০ সালে Transcription Translation Negative Feedback Loop প্রস্তাব করেন। \n১৯৯৮ সালে তারা চাক্রিক জিন, ক্লক জিন এবং আগ্রগামী জিনতত্ত্বের সাহায্যে \nড্রসোফিলায় ক্রিপ্টোক্রোম ফটোরিসিপ্টর আবিস্কার করেন। তিনি প্রথমে মিউট্যান্টের \nফেনোটাইপ আবিস্কার করেন ও এরপর মিউটেশনের প্রকৃত জিনতত্ত্ব হিসেব করেন।\nরসব্যাশ ২০০৩ সালে জাতীয় বিজ্ঞান একাডেমীর জন্য নির্বাচিত হন। তিনি ২০১৭ সালে মনোবিজ্ঞান তথা চিকিৎসা শাস্ত্রে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন।",
"এ এইচ এম তৌহিদুল আনোয়ার চৌধুরী\nডাঃ তৌহিদুল আনোয়ার চৌধুরী (জন্ম: ১০ অক্টোবর, ১৯৩৭) হলেন একজন বাংলাদেশী চিকিৎসক, যিনি \"ডাঃ টিএ চৌধুরী\" নামে অধিক পরিচিত। তিনি ইন্সটিটিউট অব পোস্ট গ্রাজুয়েট মেডিসিন এ্যান্ড রিসার্চ এর পরিচালক ছিলেন। ২০১৭ সালে চৌধুরী চিকিৎসা শাস্ত্রের গাইনোকোলজী এবং অবসটেট্রিক্সের অন্যান্য অবদানের জন্য স্বাধীনতা পুরস্কারে ভুষিত হন।",
"চিকিৎসা বিজ্ঞান\nগ্রীসে, গ্রীক চিকিৎসক হিপোক্রেটিস যাকে \"পশ্চিমা চিকিৎসা শাস্রের জনক বলা হয়\", তিনিই প্রথম ঔষধের যুক্তিসঙ্গত পদ্ধতির ভিত্তি স্থাপন করেন। হিপোক্রেটিসই চিকিৎসকদের জন্য হিপোক্রেটিক ওথ চালু করেছিলেন, যা এখনও প্রাসঙ্গিক এবং আজ অবধি ব্যবহৃত হয়ে আসতেছে । রোগকে তখনি প্রথম acute, chronic, endemic and epidemic হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। তাছাড়া তাদেরকে \"exacerbation, relapse, resolution, crisis, paroxysm, peak, and convalescence\" হিসাবেও শ্রেণীবদ্ধ করা হয়েছিল । গ্রীক চিকিৎসক গ্যালেন প্রাচীন বিশ্বের শ্রেষ্ঠ সার্জন ছিলেন বলে ধারণা করা হয় । মস্তিষ্ক ও চক্ষু অস্ত্রোপচার সহ অনেক অদ্ভুত অপারেশন তিনি করেছিলেন। পশ্চিমা রোমান সাম্রাজ্যের পতনের পর এবং মধ্যযুগীয় যুগের সূচনা হওয়ার পরে পশ্চিম ইউরোপে ঔষধের গ্রীক ঐতিহ্য হ্রাস পেতে থাকে, যদিও এই পদ্ধতিটি পূর্ব রোমান (বাইজানটাইন) সাম্রাজ্যের মধ্যে অব্যাহত ছিল।",
"আবুল কাসিম আল জাহরাউয়ি\nআবুল কাসিম খালাফ ইবনে আল আব্বাস আল জাহরাউয়ি (৯৩৬–১০১৩), () ছিলেন আন্দালুসবাসী একজন আরব মুসলিম চিকিৎসক। তাকে মধ্যযুগের মুসলিম বিশ্বের সবচেয়ে মহৎ শল্যবিদ এবং তাকে আধুনিক শল্যচিকিৎসার জনক বলে গণ্য করা হয়। চিকিৎসাবিজ্ঞান নিয়ে তার লেখা বইয়ের নাম কিতাবুল তাসরিফ। এটি চিকিৎসা সংক্রান্ত ৩০ খন্ডের বিশ্বকোষ। শল্যচিকিৎসার প্রক্রিয়া ও যন্ত্র নিয়ে তার অবদান প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যে আধুনিক কালেও প্রভাব ফেলেছে। কিছু কিছু বিষয়ে এখনও ব্যবহার করা হয়।",
"অ্যালেক্সিস কারেল\nঅ্যালেক্সিস কারেল ( ফরাসি :alɛksi kaʁɛl; জুন ২৮, ১৮৭৩ - ৫ নভেম্বর, ১৯৪৪ খ্রিষ্টাব্দ) ছিলেন একজন খ্যাতনামা ফরাসি চিকিৎসাবিদ। ফ্রান্সের লিঁঅ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করেছিলেন। ১৯০০ খ্রিস্টাব্দে চিকিৎসাবিদ্যায় উপাধি লাভ করার পর তিনি প্রথমে ফ্রান্সের 'ফাক্যুলতে দ্য মেদসিন' ও পরে আমেরিকার শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ে শরীরতত্ত্ববিদ্যা নিয়ে গবেষণা করেন । পরবর্তী কালে নিউইয়র্কের রকফেলার ইনস্টিটিড ফর মেডিক্যাল রিসার্চের সদস্য মনোনীত হন। রক্তবাহ সংক্রান্ত গবেষণায় উল্লেখযোগ্য কৃতিত্বের জন্য ১৯১২ খ্রিষ্টাব্দে তাঁকে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়। ১৯২৪ ও ১৯২৭ সালে তিনি দু-বার 'আকাদেমি অফ সায়েন্সেস অফ দি ইউ.এস.এস.আর'- এর সাম্মানিক সদস্য নির্বাচিত হন। টিসু কালচার অর্থাৎ দেহকলার সংরক্ষণ ও বৃদ্ধি বিষয়ক তাঁর গবেষণা স্মরণীয় হয়ে থাকবে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় আঘাতপ্রাপ্ত সৈনিকদের ক্ষতের চিকিৎসার জন্য তিনি এক নতুন ধরনের চিকিৎসা পদ্ধতির উদ্ভাবন করেন। ১৯৩৫ সালে তিনি 'ম্যান দি আননোন' নামে একটি যুগান্তকারী গ্রন্থ রচনা করেন।",
"হিপোক্রেটিস\nকসের হিপোক্রেটিস (; Ἱπποκράτης \"ইপ্পোক্রাতেস্\"); ) (৪৬০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ - ৩৬০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ), যিনি দ্বিতীয় দ্বিতীয় হিপোক্রেটিস নামেও পরিচিত, পেরিক্লেসের যুগের একজন প্রাচীন গ্রিক চিকিৎসক ছিলেন, যাঁকে চিকিৎসাশাস্ত্রের ইতিহাসে সর্বাধিক উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিদের মধ্যে একজন বলে গণ্য করা হয়। হিপোক্রেটীয় চিকিৎসাশৈলীর উদ্ভাবনের স্বীকৃতিতে তাঁকে \"পশ্চিমী চিকিৎসাশাস্ত্রের পিতা\" বলে অভিহিত করা হয়ে থাকে। তাঁর শৈলী দর্শন ও ধর্মীয় রীতিনীতি থেকে পৃথক করে চিকিৎসাশাস্ত্রকে একটি পেশা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে প্রাচীন গ্রিক চিকিৎসাশাস্ত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনে।",
"জেফ্রি সি হল\nজেফ্রি সি হল (জন্মঃ ৩ মে ১৯৪৫) হলেন একজন আমেরিকান জেনেটিসিস্ট ও ক্রোনোবায়োলজিস্ট। তিনি ২০১৭ সালে মনোবিজ্ঞান বা চিকিৎসায় অবদান রাখার জন্য নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। তিনি ব্র্যানডেইস বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর এমিরিটাস। তিনি বর্তমানে মেইনে তে বসবাস করছেন। তিনি ফ্লাই কার্টশিপের নিউরলজিক্যাল গঠন পরীক্ষা ও আচরণগত রিদম নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছেন। নিউরোলজি ও ড্রসোফিলা মেলানোগাস্টার এর আচরণের ওপর গবেষণা করেছেন। জেফ্রি সি হল বায়োলজিক্যাল ক্লক ও স্নায়ুতন্ত্রে যৌণ পার্থক্যকারী গঠনের কার্যকরণ \nআবিস্কার করেন। ক্রোনোবায়োলজিতে তার বিপ্লবী অবদানের জন্য তাকে জাতীয় বিজ্ঞান একাডেমির জন্য \nনির্বাচিত করা হয়। \n২০১৭ সালে মাইকেল ডাব্লিউ ইয়ং ও মাইকেল রসব্যাশ এর সাথে তাকে চিকিৎসা শাস্ত্রে নোবেল \nপুরস্কার দেওয়া হয়। \nজেফ্রি সি হল ব্রুকলাইন, নিউ ইয়র্কে জন্মগ্রহণ করেন এবং ওয়াশিংটন ডিসির শহরতলীতে বড় \nহয়ে উঠেন। তার বাবা এসোসিয়েটেড প্রেস এর প্রতিবেদক ছিলেন। \nতার বাবা, জোসেফ ডাব্লিউ হল, তাকে অনেক প্রভাবিত করেন, বিশেষত দৈনিক পত্রিকার সর্বশেষ সংবাদ্গুলোর ব্যাপারে। উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়ার সময় জেফ্রি সি হল মেডিসিন বিষয়ে আগ্রহী হয়ে উঠেন এবং উক্ত বিষয়কে জীবিকা হিসেবে নির্বাচিত করেন। এমহার্স্ট কলেজ থেকে ১৯৬৩ সালে ব্যাচেলর ডিগ্রী লাভ করেন। স্নাতকপূর্ব সময়ে তিনি জীববিজ্ঞানে তার আগ্রহ আবিস্কার করেন। তিনি ফিলিপ আইভস এর সাথে কাজ শুরু করেন, যেন তিনি গবেষণা বিষয়ক অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারেন। তিনি ফিলিপকে একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি হিসেবে বর্ণনা করেন। ফিলিপের গবেষণাগারে কাজ করার সময় তিনি ড্রসোফিলার ব্যাপারে সম্যক জ্ঞান লাভ করেন। তিনি ড্রসোফিলাতে রিকম্বিনেশন ও ট্রান্সলোকেশন বিষয়ে পড়াশোনা করেন। গবেষক হিসেবে তার সফলতায় তিনি ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ে জীববিজ্ঞান বিভাগে যোগদান করেন ও জিনতত্ত্ব নিয়ে নিরলস কাজ করা শুরু করেন।",
"শন ক্যারল\nশন এম ক্যারল (ইংরেজি ভাষায়: Sean M. Carroll) (জন্ম: ১৯৬৬) একজন মার্কিন তাত্ত্বিক ভৌত বিশ্বতত্ত্ববিদ। তিনি বর্তমানে ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেন। কৃষ্ণ শক্তি ও সাধারণ আপেক্ষিকতার বিশেষজ্ঞ হিসেবে সুপরিচিত এই বিজ্ঞানী বিজ্ঞান বিষয়ে নিয়মিত ব্লগ লিখে থাকেন। তিনি কসমিক ভ্যারিয়েন্স নামক একটি পদার্থবিজ্ঞান ব্লগে লিখেন। এছাড়া ন্যাচার, সিড, স্কাই অ্যান্ড টেলিস্কোপ এবং নিউ সাইন্টিস্ট সাময়িকীতেও লিখেন। তিনি \"স্পেসটাইম অ্যান্ড জিওমেট্রি\" নামক একটি জনপ্রিয় স্নাতক পর্যায়ের পাঠ্যবইয়ের রচয়িতা।",
"জেমস পি. এলিসন\nজেমস পি এলিসন (জন্ম ৭ আগস্ট ১৯৪৮) হচ্ছেন আমেরিকান প্রতিষেধকবিশেষজ্ঞ। তিনি এম.ডি এন্ডারসন ক্যান্সার সেন্টার এর প্রতিষেধক-থেরাপি এর কার্যনির্বাহী সম্পাদক এবং প্রতিষেধক বিভাগের প্রধান ও অধ্যক্ষ। তার আবিষ্কার প্রাণঘাতী ক্যান্সারের বিরুদ্ধে নব চিকিৎসার সুচনা করে। তিনি ক্যান্সার রিসার্চ ইন্সটিউট বিজ্ঞান পরিষদ কাউন্সিলের পরিচালক। তিনি প্রথম টি-কোষ এন্টিজেন রিসেপ্টর কমপ্লেক্স প্রোটিনকে পৃথক করেন। তিনি ২০১৪ ও ২০১৮ তে তাসাকু হনজো এর সাথে যুগ্নভাবে যথাক্রমে ঔষুধপ্রস্তুত বিজ্ঞানে ট্যাঙ পুরস্কার এবং চিকিৎসা বিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পান।"
] | 50 |
ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের রাজধানী কোথায় ? | [
"তামিলনাড়ু\nতামিলনাড়ু ( \"তাম্যিল্ড়্ নাড়্যি\" আ-ধ্ব-ব: [t̪ɐmɨɻ n̪aːɽɯ]) ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের ২৯টি রাজ্যের অন্যতম। এই রাজ্যের রাজধানী চেন্নাই (পূর্বতন মাদ্রাজ)। তামিলনাড়ু ভারতীয় উপদ্বীপের সর্বদক্ষিণে অবস্থিত। এই রাজ্যের সীমানায় পুদুচেরি, কেরল, কর্ণাটক ও অন্ধ্রপ্রদেশ অবস্থিত। তামিলনাড়ুর ভৌগোলিক উত্তর সীমায় পূর্বঘাট, পশ্চিম সীমায় নীলগিরি, আন্নামালাই পর্বত ও পালাক্কাদ, পূর্ব সীমায় বঙ্গোপসাগর, দক্ষিণ পূর্ব সীমায় মান্নার উপসাগর ও পক প্রণালী এবং দক্ষিণে ভারত মহাসাগর অবস্থিত।"
] | [
"তিরুচ্চিরাপল্লী\nতিরুচিরাপল্লী হল ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের একটি শহর।শহরটি জনসংখ্যার হিসাবে তামিলনাড়ু চতুর্থ বৃহত্তম মহানগর এবং ভারতের মধ্য ৫৩ তম বৃহত্ত মহানগর।শহরটি রাজ্যের রাজধানী চেন্নাই থেকে ৩২২ কিলোমিটার দক্ষিণ ও কন্যাকুমারী থেকে ৩৭৯ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত।",
"মাদুরাই\nমাদুরাই হল ভারত এর তামিলনাড়ু রাজ্যের একটি মহানগর। এটি ভারতের ২৬ তম বৃহত্তম ও তামিলনাড়ুর তৃতীয় বৃহত্তিমি. মহানগর। তামিলনাড়ুর কর্পোরেশন গুলির মধ্যে মাদুরাই দ্বিতীয় বৃহত্তম। এই শহরটি মাদুরাই জেলায় অবস্থিত। মাদুরাইকে তামিলনাড়ুর সাংস্কৃতিক রাজধানী বলা হয়। শহরটি তামিলনাড়ু রাজ্যের দক্ষিণাংশে অবস্থিত।",
"তামিলনাড়ু\nআয়তনের বিচারে তামিলনাড়ু ভারতের একাদশ (এই রাজ্যের আয়তন গ্রিসের সমান) এবং জনসংখ্যার বিচারে সপ্তম বৃহত্তম রাজ্য। অন্যদিকে এই রাজ্য ভারতের জিডিপি-র পঞ্চম বৃহত্তম অবদানকারী এবং ভারতের সর্বাপেক্ষা অধিক পরিমাণ নগরায়িত রাজ্য। ভারতের সর্বাধিক সংখ্যক বাণিজ্যিক সংস্থা (১০.৫৬%) এই রাজ্যে অবস্থিত। যা ৬% জনসংখ্যার ভাগের তুলনায় অনেকটাই বেশি।",
"চেন্নাই\nচেন্নাই (তামিল: சென்னை) বা পূর্বতন (তামিল: மதறாஸ் \"মাড্রাস্\") ভারতের তামিল নাড়ু রাজ্যের রাজধানী এবং দেশটির চতুর্থ বৃহত্তম মেট্রোপলিটান শহর। এটি বঙ্গোপসাগরের করমন্ডল উপকূলে অবস্থিত। ৩৬৮ বছরের পুরনো এই শহরের জনসংখ্যা আনুমানিক ৬.৯১ মিলিয়ন (২০০৬); জনসংখ্যার দিক থেকে এটি পৃথিবীর ৩৬তম বৃহত্তম মেট্রোপলিটান শহর।",
"তুতিকোরিন বন্দর\nতুতিকোরিন বন্দর বা ভি ও চিতাম্বরম বন্দর লহ ভারত-এর তামিলনাড়ু রাজ্যের একটি সমুদ্র বন্দর। এটি মান্নান উপসাগরের তীরে অবস্থিত।বন্দরটি ভারতের প্রথম সারির কন্টেইনার বন্দর।এটি ভারতের চতুর্থ বৃহত্ত কন্টেইনার বন্দর এবং তামিলনাড়ুর দ্বিতীয় বৃহত্ত বন্দর।এই বন্দর দ্বারা শ্রীলঙ্কার সঙ্গে প্রধানত ব্যবসা বাণিজ্য চলে।তবে বন্দরটি থেকে জাহাজ ইউরোপ,আমেরিকা ও আফ্রিকার দেশ গুলিতে পণ্য পরিবহন করে।\nবন্দরটি ৮.৮২ উত্তর ৭৮.০৭ পূর্বে অবস্থিত।এটি মান্নান সাগের তীরে ভারতের দক্ষিণ প্রান্তে অবস্থিত।এখান থেকে সহজেই জাহাজে শ্রীলঙ্কায় পণ্য পরিবহন করা যায়।বন্দরটি থেকে কেরালা রাজ্যের রাজধানী ত্রিরুবন্তপুরম কাছেই অবস্থিত।এই বন্দর থেকে সামান্য দূরে কুডানকুলাম পরমানু বিদ্যুৎ কেন্দ্র গড়ে উঠেছে।",
"ভারতের পার্বত্য রেলপথ\nশিমলা হল অধুনা ভারতের হিমাচল প্রদেশ রাজ্যের রাজধানী। হিমালয়ের পাদদেশে উচ্চতায় এই শহর অবস্থিত। ১৮৬৪ সালে এটি ছিল ব্রিটিশ ভারতের গ্রীষ্মকালীন রাজধানী এবং ভারতে ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর সদর দফতর। কালকা হল অধুনা হরিয়ানা রাজ্যের পঞ্চকুলা জেলার একটি শহর।",
"সেলম (তামিলনাড়ু)\nসেলম হল ভারত এর তামিলনাড়ু রাজ্যের একটি শহর।শহরটি কর্পোরেশন বা পৌরসংস্থা ও বৃহত্তর শহর নিয়ে গঠিত।এটি রাজ্যের ষষ্ঠ বৃহত্তম শহর।শহরটি চেন্নাই থেকে ৩৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিম,বেঙ্গালুরু থেকে ১৮৬ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে ও কোয়েম্বাটুর থেকে ১৬০ কিলোমিটার উত্তর-পূরে অবস্থিত।এই শহটিতে ইস্পাত কারখানা গড়ে উঠেছে,এই কারনে শহরটিকে \"ইস্পত নগরী\" বলে ডাকা হয়।",
"দক্ষিণ ভারতের ইতিহাস\nপাণ্ড্য রাজ্য ছিল তিনটি প্রাচীন তামিল রাজ্যের অন্যতম (অপর রাজ্যদুটি ছিল চোল ও চের রাজ্য)। প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকে পঞ্চদশ শতাব্দীর শেষভাগ পর্যন্ত তাঁরা তামিল দেশ শাসন করে আসেন। প্রথম দিকে তাঁদের রাজধানী ছিল ভারতীয় উপদ্বীপের সর্বদক্ষিণে স্থিত সমুদ্রবন্দর কোরকাই। পরবর্তীকালে তাঁদের রাজধানী স্থানান্তরিত হয় মাদুরাই শহরে। সঙ্গম সাহিত্য (১০০-২০০ খ্রিস্টাব্দ) এবং সমসাময়িক কালে রচিত গ্রিক ও রোমান রচনায় পাণ্ড্য রাজ্যের উল্লেখ পাওয়া যায়।",
"কোয়েম্বাটুর\nকোয়েম্বাটুর হল ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের দ্বিতীয় বৃহত্তম মহানগর ও ভারতের ১৬ তম বৃহত্ত মহানগর।এই মহানগরটি তামিলনাড়ু রাজ্যে পশ্চিমে কঙ্গনাড়ু অঞ্চলের শহর। শহরটি নওয়াল নদীর তীরে অবস্থিত এবং পশ্চিমা ঘাটপর্বত দ্বারা বেষ্টিত। কোয়েম্বাটুর রাজ্যের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর (জনসংখ্যা ও এলাকা) (চেন্নাই পরে) এবং ভারতের ১৬ তম বৃহত্তম শহর পুঞ্জ। এটি কোয়েম্বাটুর পৌরসংস্থা দ্বারা পরিচালিত হয় এবং এটি কোয়েম্বাটুর জেলার প্রশাসনিক কেন্দ্র। এটি ভারতের দ্রুত বৃদ্ধিপাপ্ত পর্যায়-২ শহরের অন্তর্গত এবং দক্ষিণ ভারতের একটি প্রধান শিল্পকেন্দ্র। তুলা উৎপাদন এবং বস্ত্র শিল্পের কারণে শহরটিকে প্রায়ই \"দক্ষিণ ভারতের ম্যানচেস্টার\" হিসাবে উল্লেখ করা হয়। কোয়েমম্বাটুরকে \"পাম্প সিটি\" হিসাবেও উল্লেখ করা হয় এবং এই শহর ভারতের প্রায় চাহিদা অর্ধেক মোটর এবং পাম্পের সরবরাহ করে। শহরটি গহনা, ভেজা গ্রাইন্ডার, পল্ট্রি এবং স্বয়ংক্রিয় উপাদানের বৃহত্তম রপ্তানিকারকদের মধ্যে একটি। শহরটি \"কোয়েমাটোর ভেট পিকরার\" এবং \"কোভাই কোরা কটন\" ভারত সরকারের ভৌগোলিক নির্দেশক হিসাবে স্বীকৃত। কোয়েম্বাটোর শিক্ষার জন্য একটি কেন্দ্র।"
] | 57 |
যিশু খ্রিস্ট কবে জন্মগ্রহণ করেন ? | [
"যিশু\nযিশু (৪ খ্রিস্টপূর্বাব্দ?-৩০ খ্রিস্টাব্দ?) ছিলেন একজন ইহুদি ধর্মপ্রচারক, যিনি খ্রিস্টধর্মের কেন্দ্রীয় ব্যক্তিত্ব হিসেবে গণ্য হন। তিনি নাসরতের যিশু নামেও অভিহিত হন। যিশুকে প্রদত্ত উপাধি 'খ্রিস্ট' থেকে খ্রিস্টধর্মের নামকরণ করা হয়েছে। খ্রিস্টানরা বিশ্বাস করেন, যিশু ইশ্বরের পুত্র এবং বাইবেলের পুরাতন নিয়মে পূর্বব্যক্ত মসিহ যার আগমন নতুন নিয়মে পুনর্ব্যক্ত হয়েছে।"
] | [
"খ্রিস্ট ধর্ম\nমধ্যপ্রাচ্যের (বর্তমান ইসরায়েল রাষ্ট্রের উত্তরভাগে অবস্থিত) ঐতিহাসিক গালীল অঞ্চলের নাসরত শহর থেকে আগত ইহুদি বংশোদ্ভূত ধর্মীয় নেতা যিশুখ্রিস্টের জীবন ও শিক্ষার ওপর ভিত্তি করে খ্রিস্টীয় ১ম শতকে ধর্মটির উৎপত্তি হয়। ঐতিহাসিকভাবে নাসরতের যিশু খ্রিস্টীয় ১ম শতকের প্রাচীন রোমান সাম্রাজ্যের প্রদেশ যিহূদিয়াতে (ঐতিহাসিক ফিলিস্তিন অঞ্চলের পার্বত্য দক্ষিণাংশ) বসবাসকারী একজন ধর্মপ্রচারক ও নৈতিক শিক্ষক ছিলেন। যিশুর পালক বাবা যোসেফ ছিলেন একজন কাঠমিস্ত্রী। কিন্তু যিশুর অনুসারীরা অর্থাৎ খ্রিস্টানেরা বিশ্বাস করেন যে যিশু স্বয়ং ঈশ্বরের একমাত্র সন্তান। খ্রিস্টান ধর্মগ্রন্থগুলিতে বর্ণিত কাহিনী অনুযায়ী তিনি দুরারোগ্য ব্যাধি সারাতে পারতেন, এমনকি মৃত মানুষকে পুনরুজ্জীবিত করতে পারতেন। এসব অলৌকিক ঘটনা সম্পাদনের প্রেক্ষিতে যিশুকে ইহুদিদের রাজা হিসেবে দাবী করা হয়। এই উপাধি ব্যবহার ও নিজেকে ঈশ্বরের পুত্র হিসেবে দাবী করার দোষে জেরুসালেমের ইহুদি নেতাদের নির্দেশে যিশুকে জেরুসালেমে গ্রেপ্তার করা হয়। ইহুদিদের সর্বোচ্চ আদালতে তাঁর বিচার হয় ও ইহুদিরা যিহূদিয়ার স্থানীয় রোমান প্রশাসক পোন্তিউস পীলাতকে অনুরোধ করে যেন যিশুকে মৃত্যদণ্ড দান করা হয়। পীলাত প্রথমে যিশুকে নিরপরাধ গণ্য করলেও পরবর্তীতে যাজকদের প্ররোচণায় উন্মত্ত ইহুদি জনতার ইচ্ছাপূরণ করতে যিশুকে ক্রুশবিদ্ধ করে তাঁর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করান।",
"যিশুর ক্রুসবিদ্ধকরণ\nযিশু খ্রিস্ট, ইসলাম ধর্মমতে যাকে ঈসা নবী বলে আখ্যায়িত করা হয়, খ্রিস্টানদের মতে তার ক্রুসবিদ্ধকরণের ঘটনাটি ঘটেছিল খ্রিস্টীয় প্রথম শতাব্দীতে, আনুমানিক ৩০-৩৩ সালের মধ্যে। তাঁর এই ক্রুশবিদ্ধের ঘটনার সবথেকে ভাল বিবরণ পাওয়া যায় খ্রিস্টানদের ধর্মগ্রন্থ বাইবেল-এর নূতন নিয়মের প্রথম চারটি বইতে যা সুসমাচার নামে পরিচিত। যিশু খ্রিস্টের এই ক্রুশবিদ্ধকরণের ঘটনাটি প্রাচীন অনেক উৎস মোতাবেক একটি প্রতিষ্ঠিত ঘটনা এবং অন্য ধর্মালম্বীদের বিভিন্ন উৎস দ্বারা স্বীকৃত। তবে ইসলাম ধর্মমত অনুযায়ী যীশু বা ঈসাকে হত্যাও করা হয় নি, শূলেও চড়ানো হয়নি। ইতিহাসবিদগণ এই বিষয়ে সম্পূর্নভাবে একমত হতে পারেনি যে সেখানে প্রকৃতপক্ষে কি ঘটেছিল।\nবাইবেলে উল্লেখিত সুসমাচার অনুযায়ী যিশুকে খ্রিস্ট বলা হয়, তাঁকে তৎকালীন রাজা পিলাতের আইনসভা কর্তৃক অন্যায়ভাবে ধরে এনে অপমান করা হয় এবং পরে রাজা পিলাতের কাছে পাঠানো হলে সে প্রথমে চাবুক মারার আদেশ এবং পরবর্তীতে বাধ্য হয়ে ক্রুশে দেবার আদেশ দেয় এবং অবশেষে রোমীয়রা তাঁকে ক্রুশে দেয়। ক্রুশবিদ্ধ করার আগে যিশু খ্রিস্টের শরীর থেকে তার কাপড় খুলে নিয়ে তাকে চাবুকের আঘাত করা হয় এবং পিত্ত মেশানো আঙ্গুর রস খেতে দেওয়া হয়। এবং যিশুর সাহাবী মথির লেখা সুসমাচার অনুযায়ী পরে তাকে দুইজন দন্ডপ্রাপ্ত দস্যুর মাঝে তাঁকে ক্রুশে দেওয়া হয় এবং তার ক্রুশের উপর বিদ্রুপ করে লিখে দেওয়া হয় \" INRI \" অনুবাদ করলে যার অর্থ দাঁড়ায় \" এই ব্যক্তি যিশু, ইহূদীদের রাজা \" যার উল্লেখ তাঁর সাহাবী ইউহোন্না যাকে যোহন বলা হয় তার লেখা সুসমাচারে পাওয়া যায়। ইউহোন্না আরো উল্লেখ করেছেন যে যিশুকে ক্রুশে দেবার পর সৈন্যরা তাঁর জামাকাপড় লটারী করে নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নেয়। চারটি সুসমাচারের মধ্যে ইউহোন্না বা যোহনের লেখা সুসমাচারে উল্লেখ আছে যে, যিশুকে ক্রুশে দেবার পর একজন সৈন্য তার দেহে বর্শা দিয়ে খুঁচিয়ে নিশ্চিত হন যে তিঁনি মারা গেছেন কিনা। বাইবেল অনুসারে যিশু খ্রিস্ট ক্রুশেবিদ্ধ থাকা অবস্থায় সাতটি বাণী দেন এবং তার জীবদ্দশায় তিঁনি অনেক অলৌকিক কাজ করেন।",
"খ্রিস্ট ধর্ম\nখ্রিস্টধর্ম একটি একেশ্বরবাদী ধর্ম, যা মধ্যপ্রাচ্যের ঐতিহাসিক গালীল অঞ্চলের ধর্মপ্রচারক নাসরতের যিশুর জীবন ও শিক্ষার উপর ভিত্তি করে খ্রিস্টীয় ১ম শতকে উৎপত্তি লাভ করে। যিশুকে প্রদত্ত উপাধি \"খ্রিস্ট\" অনুযায়ী এই ধর্মকে খ্রিস্টধর্ম এবং এর অনুসারীদের খ্রিস্টান বলা হয়। খ্রিস্টানদের ধর্মগ্রন্থসমগ্রের নাম বাইবেল। খ্রিস্টানেরা এক ঈশ্বরে বিশ্বাস করে; তারা আরও বিশ্বাস করে যে যিশু ইশ্বরের পুত্র ও মানব জাতির ত্রাতা যার আগমন বাইবেলের পুরাতন নিয়ম অংশে পূর্বব্যক্ত হয়েছিল এবং নূতন নিয়ম অংশে পুনর্ব্যক্ত হয়েছে। খ্রিস্টধর্ম একটি অব্রাহামীয় ধর্ম, কেননা বাইবেলের পুরাতন নিয়মে উল্লিখিত প্রাচীন ইসরায়েলীয় জাতির পিতৃপুরুষ অব্রাহাম যে এক ঈশ্বরের উপাসনা করতেন, খ্রিস্টানরা সেই ঈশ্বরেরই উপাসনা করে।",
"যিশুর কুমারীগর্ভে জন্ম\nখ্রিস্টানদের দুটি সর্বাধিক প্রচলিত বিশ্বাস হল এই যে, যিশু হলেন \"পবিত্র আত্মা ও \"কুমারী\" মেরির অবতার\" (বর্তমানে নাইসীয় বিশ্বাস নামে পরিচিত) এবং যিশু \"কুমারী মেরির গর্ভে জন্মগ্রহণ করেন\" (শিষ্যমণ্ডলীয় বিশ্বাস)। অষ্টাদশ শতাব্দীর এনলাইটেনমেন্ট ধর্মতত্ত্বের পূর্বে কয়েকটি অপ্রধান সম্প্রদায়ের ব্যতিক্রমী উদাহরণ ছাড়া কেউই এই মতবাদটিকে সম্পর্কে গুরুতর প্রশ্নচিহ্নের মুখে ফেলেনি।",
"নোবুসুকে কৃষি\nকিশির জন্ম তবুসে বাবুউজ, ইয়ামাগুচি প্রিফেকচার -এ জন্মগ্রহণ করেছিলেন, কিন্তু অল্প বয়সে তাঁর পরিবারকে আরও বেশি ধনী কিশির পরিবারে নিয়ে যাওয়ার জন্য পরিবার ছেড়ে চলে যান। কিশির ছেলেকে এতই উজ্জ্বল বলে মনে করা হয়েছিল যে, এক চাচাত ভাই তাকে গ্রহণ করার চেয়ে ভাল মনে করেছিল কারণ তার বিশ্বাস ছিল যে তার ভাগ্নী কিশির পরিবারের স্বার্থকে এগিয়ে নিতে অনেক কিছু করতে পারে। তিনি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এবং আংশিকভাবে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ওকায়ামা উপস্থিত ছিলেন এবং তারপর ইয়ামাগুচি এ অন্য মধ্যম বিদ্যালয়ে স্থানান্তরিত হন। তাঁর জৈবিক ছোট ভাই, এইসাকু সাতো, তিনিও একজন প্রধানমন্ত্রী হবেন। তিনি জাপানের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে এর চাচাও আছেন। কিশির টোকিও ইম্পেরিয়াল ইউনিভার্সিটি এখন টোকিও বিশ্ববিদ্যালয় এবং বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয় ১৯২০ এস আ ইয়ং ম্যান, কৃষি ওয়াস বা ফলোয়ার অফ টি জাপানীস ফ্যাসিস্ট ইক্কি কিতা বহসে রাইটিংস কাল্লেদ ফর আ শর্ট অফ মোনারচীকাল সোশালিসম ফর জাপান.",
"যিশুর কুমারীগর্ভে জন্ম\nযিশুর কুমারীগর্ভে জন্ম খ্রিস্ট ও ইসলাম ধর্মে প্রচলিত একটি বিশ্বাস। এই মত অনুসারে, মেরি কুমারী অবস্থাতেই অলৌকিক উপায়ে যিশুকে গর্ভে ধারণ করেছিলেন। খ্রিস্টীয় দ্বিতীয় শতাব্দীর মধ্যে খ্রিস্টমণ্ডলীতে এই মতবাদ সর্বজনীনভাবে প্রতিষ্ঠালাভ করেছিল। অ্যাংলিক্যানিজম, চার্চ অফ দি ইস্ট, ইস্টার্ন অর্থোডক্সি, ওরিয়েন্টাল অর্থোডক্সি, প্রটেস্ট্যান্টবাদ ও রোমান ক্যাথলিকবাদে এই মত স্বীকৃত।",
"জ্যাকি কুপার\nজন কুপার জুনিয়র ১৯২২ সালের ১৫ই সেপ্টেম্বর ক্যালিফোর্নিয়ার লস অ্যাঞ্জলেসে জন্মগ্রহণ করেন। তার যখন দুই বছর বয়স তার পিতা জন কুপার পরিবার ছেড়ে চলে যান। তার মাতা ম্যাবেল লিওনার্ড বিগলো (প্রদত্ত নাম: পোলিতো) ছিলেন মঞ্চের পিয়ানোবাদক। কুপারের মামা জ্যাক লিওনার্ড ছিলেন চিত্রনাট্যকার। তার খালা জুলি লিওনার্ড ছিলেন একজন অভিনেত্রী, তিনি পরিচালক নরমান তরগকে বিয়ে করেন। তার সৎপিতা সি.জে. বিগলো ছিলেন স্টুডিও প্রযোজনা ব্যবস্থাপক। তার মাতা ছিলেন ইতালীয় মার্কিন এবং তার বংশনাম \"পোলিতো\" থেকে পরিবর্তিত হয়ে \"লিওনার্ড\" রাখা হয়। পরিবার থেকে কুপারকে বলা হয় তার পিতা ইহুদি ছিলেন। তার পিতা পরিবার ছেড়ে যাওয়ার পর আর তাদের সাক্ষাৎ হয়নি।",
"রুডল্ফ ক্রিস্টোফ ইউকেন\nরুডল্ফ ইউকেন জার্মানির নিম্ন স্যাক্সনি (Niedersachsen) অংশের পূর্ব ফ্রাইজলান্ড্ অঞ্চলের অন্তর্গত অরিচ শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তার জন্ম তারিখ ১৮৪৬ সালের জানুয়ারি ৫। অল্প বয়সেই বাবাকে হারান। এরপর বড় হয়েছেন মূলত মায়ের আদর-স্নেহ ও শাসনে। তার প্রাথমিক পড়াশোনা সম্পন্ন হয় জার্মানির গ্যোটিঙেনে। প্রাথমিক অধ্যয়ন শেষে গ্যোটিঙেন ও বার্লিন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। এখান থেকে কৃতিত্বের সাথে পাশ করেন। তার পড়াশোনার বিষয় ছিল দর্শন এবং তার প্রিয় দার্শনিক ধারা ছিল এরিস্টটল-এর দর্শন। তিনি সুইজারল্যান্ডের বাসেল এবং জার্মানির জেনাতে অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়দ্বয়ে অধ্যাপনা করেছেন। বাসেলে শিক্ষকতা করেছেন ১৮৭১ থেকে ১৮৭৪ সাল পর্যন্ত আর জেনাতে ১৮৭৪ থেকে ১৯২০ সাল অর্থাৎ তার শেষ বয়স অবধি। এছাড়া তিনি ১৯১৪ সালে টোকিও বিশ্ববিদ্যালয় এবং ১৯২২ সালে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে এক্সচেঞ্জ অধ্যাপক হিসেবে কাজ করেছেন।",
"ক্রিস প্রাট\nক্রিস্টোফার মাইকেল প্রাট ১৯৭৯ সালের ২১শে জুন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া রাজ্যের মিনেসোটা শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ক্যাথলিন লওসি (\"বিবাহপূর্ব নাম\" ইনধাল), এবং ড্যানিয়েল ক্লিফটন প্রাট (মাল্টিপল স্ক্লেরোসিস নামক রোগে আক্রান্ত হয়ে ২০১৪ সালে মারা যান)-এর সর্ব কনিষ্ঠ সন্তান, তার মা মার্কিন সুপারমার্কেট সেফওয়ে'তে কাজ করেছেন, এবং তার বাবা খনিতে কাজ করা ছাড়াও বাড়ি পুনঃনির্মানের কাজ করতেন। তার মা নরওয়েজিয়ান বংশধর। যখন প্রাটের তিন বছর বয়স ছিল, তখন তার পরিবার ওয়াশিংটন রাজ্যের লেইক স্টিভেন্স শহরে চলে আসে। পরবর্তীতে প্রাট একটি হাইস্কুল স্টেট রেসলিং প্রতিযোগিতায় পঞ্চম স্থান অর্জন করেন, যখন তার রেসলিং শিক্ষক তাকে জিজ্ঞাসা করলেন যে তার জীবনের সাথে সে কি করতে চায়, তখন তিনি তা স্মরণ করে বললেন \"আমি বলেছিলেন, 'আমি জানিনা, কিন্তু আমি জানি, আমি বিখ্যাত হব এবং আমি এটাও জানি যে, আমি অনেক অর্থ উপার্জন করব।' আমার কোন ধারনাই ছিল না যে কিভাবে। আমি কোন কিছুর প্ররোচোনায় পড়িনি।\" ১৯৯৭ সালে তিনি লেইক স্টিভেন্স হাই স্কুল থেকে স্নাতক শেষ করেন।"
] | 55 |
আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেল কবে জন্মগ্রহণ করেন ? | [
"আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেল\nআলেকজান্ডার গ্রাহাম বেল (৩রা মার্চ, ১৮৪৭ - ২রা আগস্ট, ১৯২২) প্রখ্যাত বিজ্ঞানী ও উদ্ভাবক। টেলিফোনের অন্যতম আবিষ্কারক হিসেবে তিনি সবচেয়ে পরিচিত। তাকে \"বোবাদের পিতা\" তথা \"দ্য ফাদার অফ দ্য ডিফ\" নামে ডাকা হতো। তার বাবা, দাদা এবং ভাই সবাই একক অভিনয় ও বক্তৃতার কাজে জড়িত ছিলেন এবং তার মা ও স্ত্রী উভয়েই ছিলেন বোবা। এ কারণেই বোবাদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে তিনি অনেক গবেষণা করেছেন। টেলিফোন উদ্ভাবনের আগে থেকেই তিনি শ্রবণ ও কথন সংশ্লিষ্ট গবেষণা নিয়োজিত ছিলেন। ১৮৭৬ সালে তাকেই টেলিফোনের প্রথম মার্কিন পেটেন্টের সম্মানে ভূষিত করা হয়।"
] | [
"আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেল\nপরবর্তী জীবনে বেল আরও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা করেন যার মধ্যে রয়েছে উড়ো নৌকা এবং বিমানচালনবিদ্যা। ১৮৮৮ সালে প্রতিষ্ঠিত ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক সোসাইটির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন বেল। তার সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য উদ্ভাবন যে টেলিফোন, সেটিকেই তিনি এক উটকো ঝামেলা জ্ঞান করতেন। এজন্যেই নিজের গবেষণা ও অধ্যয়ন কক্ষে কোন টেলিফোন রাখতেন না। বেল মারা যাওয়ার পর আমেরিকার সকল টেলিফোনে এক মিনিটের জন্য অবিরাম রিং বাজানো হয়। মার্কিন প্রশাসনের ভাষ্য মতে যে মহান ব্যক্তি মানুষে-মানুষে যোগাযোগের এ পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন তাকে উপযুক্ত সম্মান দেখানোর জন্যই এমনটি করা হয়েছে।\nআলেকজান্ডার গ্রাহাম বেল ১৮৪৭ সালের তেশরা মার্চ স্কটল্যান্ডের এডিনবার্গে জন্মগ্রহন করেন। এডিনবার্গের ১৬ চারলোটি স্ট্রিটের একটি বাড়িতে একটি পাথরের খোদাই থেকে জানা যায় যে এটিই তার পরিবারের আবাসস্থল এবং তার জন্মস্থান ছিল। গ্রাহাম বেলের দুইজন ভাই ছিলেন মেলভিল জেমস বেল এবং এডওয়ার্ড চার্লস বেল যাদের দুজনই পরবর্তীতে যক্ষ্মায় মারা যান। জন্মের সময় তার নাম ছিল আলেকজান্ডার বেল, তবে তার বয়স যখন দশ বছর তখন তিনি তার বাবার কাছে তার বড় দুই ভাইয়ের মধ্যনামের মত একটি মধ্যনামের জন্য আবদার করেন। তার এগারো তম জন্মদিনে তার বাবা আলেকজান্ডার মেলভিল বেল তারই এক কানাডিয়ান বন্ধুর নাম অণুশারে তার ছোট ছেলের মধ্য নাম রাখেন গ্রাহাম। এর পর থেকেই তার নাম হয় আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেল। তবে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তার পরিবারের সদস্য এবং বন্ধুরা এলেক নামেই ডাকত।\nশিশুকাল থেকেই আলেকজান্ডার প্রাকৃতিক পরিবেশ সম্পর্কে অত্যন্ত কৌতূহলি ছিলেন এবং এরই পরিপ্রেক্ষিতে তিনি পরীক্ষানিরীক্ষা করার জন্য বিভিন্ন উদ্ভিদের নমুনা সংগ্রহ করতেন। ছোটবেলায় আলেকজান্ডারের সবচেয়ে ভাল বন্ধু ছিলেন বেন হের্ডম্যান। হের্ডম্যানের পরিবার আলেকজান্ডারের প্রতিবেশি ছিলো এবং একটি ময়দা মিল পরিচালনা করত। একবার আলেকজান্ডার প্রশ্ন করেছিলো যে ময়দা প্রস্তুত করতে হলে কি কি করতে হয়, এই প্রশ্নের জবাবে তাকে বলা হয়েছিলো যে পরিশ্রমসাধ্য এক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে গমের খোসা ছাড়িয়ে ময়দা প্রস্তুত করতে হয়। মাত্র ১২ বছর বয়সে পেরেকের ব্রাশ এবং ঘুর্ণায়মান প্যাডেলের সমন্বয়ে আলেকজান্ডার একটি গম পেষাই যন্ত্র তৈরী করেন যা ঐ মিলে অনেক বছর ধরে ব্যবহার করা হয়েছিল। এই উদ্ভাবনের জন্য জন হের্ডম্যান আলেকজান্ডার এবং বেনকে নতুন নতুন জিনিস উদ্ভাবন করার গবেষণা করার জন্য একটি ওয়ার্কশপ উপহার দেয়।",
"চার্লস আলফ্রেড বেল\nচার্লস আলফ্রেড বেল ৩১ অক্টোবর ১৮৭০ সালে ব্রিটিশ রাজের (বর্তমানে ভারত) কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা হেনরি বেল ভারতীয় সিভিল সার্ভিসে কর্মরত ছিলেন। উইনচেস্টার বিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা শেষ করে তিনি অক্সফোর্ডের নিউ কলেজে অধ্যয়ন করেন। এরপর ১৮৯১ সালে তিনি ভারতীয় বেসামরিক পরিসেবায় যোগ দেন।",
"বেন অ্যাফ্লেক\nবেনজামিন গিজা অ্যাফ্লেক বোল্ডট বার্কলে, ক্যালিফোর্নিয়া-এ ১৫ই আগস্ট, ১৯৭২ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তার মা ক্রিস্টোফার অ্যানা \"ক্রিস\" (বিবাহ-পূর্ব বোল্ডট)। তার মা এলিজাবেথ (বিবাহ-রবার্টস) দ্বারা নিউ ইয়র্ক এর ঊর্ধ্বস্থ ইস্ট সাইড উপর উত্থাপিত হয়েছিল, ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে আধুনিক শিল্পকলা জাদুঘর এর জনসাধারণের তথ্য পরিচালক ছিলেন তিনি, এবং তার মায়ের দ্বিতীয় স্বামী স্যামুয়েল শোও ছিলেন একজন আইনজীবি। ক্রিসের পিতা, ও'ব্রায়েন \"ওবি\" বোল্ডট হলেন নিউ ইয়র্ক সিটি ইউনিভার্সিটির একজন গণতান্ত্রিক কর্মী এবং রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে ছিলেন।",
"আর্থার ক্লাইভ হাভার্ড বেল\nবেল ১৮৮১ সালে উইলিয়াম হাভার্ড বেল (১৮৪৯-১৯২৭) ও হানান ট্রেইলর কোরি(১৮৫০-১৯৪২) এর চতুর্থ সন্তান ছিলেন। তার জন্ম স্থান ইস্ট সেফোর্ড, বাক্সায়ার ।",
"এডওয়ার্ড বাইলস কাওয়েল\nএডওয়ার্ড বাইলস কাওয়েল ইংলণ্ডের উইপিচে ১৮২৬ সালের ২৩শে জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন । তিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন সকলের বড়। পিতা \"চার্লস কাওয়েল\", ছিলেন একজন সফল ব্যবসায়ী, মাতা ম্যারিন্যে ছিলেন হিল হাউেসর (ইপসউইস) বাসিন্দা নাথানিয়েল বাইলস-এর জ্যেষ্ঠ কন্যা; তিনিও একজন সফল ব্যবসায়ী । কাওয়েল মাত্র ৮ বছর বয়সে ইপসউইসের গ্রামার স্কুলে ভর্তি হন এবং ১৮৪১ সালে ‘দ্য ইপ্সউইস র্যাডিক্যাল ম্যাগাজিন এ্যান্ড রিভিয়্যু,’ শীর্ষক পত্রিকাটির কয়েকটি সংখ্যার সংকলন করে তাঁর ক্লাসিক্যাল সাহিত্যের প্রতি অনুরাগের স্বাক্ষর রাখেন । ১৮৪২ সালে পিতার মৃত্যুর পর তিনি স্কুল ছেড়ে দিয়ে ব্যবসা বিষয়ক প্রশিক্ষণ নিতে শুরু করলেন। পরবর্তী ৮ বছর তিনি ব্যবসায়ে নিমগ্ন থাকার সঙ্গে সঙ্গে ‘ওয়েস্টমিনিস্টার রিভিয়্যু,’ তে প্রাচ্য ও স্প্যানিশ সাহিত্য নিয়ে লিখে উল্লেখযোগ্য কৃতিত্বের পরিচয় দেন। এই একই সময়ে তিনি আরবি ও ফার্সি নিয়েও চর্চা শুরু করেন। তাঁর জ্ঞানচর্চা ও মনীষার কারণে তাঁকে লণ্ডনের কার্লাইল বলা হত। ১৮৪৫ সালে কাওয়েল বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন এবং ১৮৫০ সালে তাঁর ভাইয়ের উপর পারিবারিক ব্যবসার সমস্ত দায়িত্বভার অর্পণ করে তিনি পুরোপুরি নিজেকে সাহিত্যসেবায় সঁপে দেন।",
"আলেকজান্ডার কানিংহাম\nআলেকজান্ডার কানিংহাম ১৮১৪ সালে লন্ডনে স্কটিশ কবি এ্যালান কানিংহামের ঘরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯ বছর বয়সে সেকেন্ড ল্যাফটেন্যান্ট হিসেবে বেঙ্গল ইন্জিনিয়াস্-এ যোগ দান করেন এবং পরবর্তী ২৮ বছর ভারতে ব্রিটিশ সরকারের সাথে এতে যুক্ত থাকেন। ভারতে আসার পর, ১৮৩৩ সালের জুনে তিনি জেমস প্রিন্সেপ-এর সাথে পরিচিত হন, যা তাঁকে ভারতের প্রত্মতত্ত্ব এবং প্রত্নসম্পদের প্রতি আগ্রহী করে গোলে।তিনি ১৮৩৬ থেকে ১৮৪০ ভারতের গভর্ণর জেনারেল-এর দায়িত্বে থাকা লর্ড অকল্যান্ড-এর এডিসি ছিলেন। কানিংহাম ১৮৪০ সালের ৩০ মার্চ মার্টিন হুয়িশ বি.সি.এস.-এর কন্যা এ্যালিসিয়া মারিয়া হুয়িশ-কে বিয়ে করেন। তিনি ১৮৬০ সালে কর্ণেল পদে পদোন্নতি পান। তিনি মেজর জেনারেল পদে থেকে অবসর গ্রহণ করেন।",
"আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেল\nভাইদের মত আলেকজান্ডারও ছোটবেলায় পরিবারে বাবার কাছ থেকেই শিক্ষা লাভ করে। যদিও খুব অল্প বয়সেই তাকে এডিনবার্গের রয়েল হাই স্কুলে ভর্তি করা হয়েছিল, সেখানে তিনি চার ক্লাস পর্যন্তই পড়াশোনা করেন এবং মাত্র ১৫ বছর বয়সেই স্কুল ছেড়ে দেন। স্কুলে তার ফলাফল খুব একটা ভাল ছিল না এবং প্রায়শই স্কুল কামাই দেওয়ার প্রবনতা দেখা গিয়েছে। তার বাবার উচ্চাশা সত্ত্বেও স্কুলের পাঠ্যবিষয়গুলোর প্রতি আলেকজান্ডারের কোন আগ্রহই ছিল না বরং বিজ্ঞান এবং বিশেষ করে জীববিজ্ঞানে তার মারাত্বক আগ্রহ ছিল। স্কুল ত্যাগ করার পর আলেকজান্ডার তার দাদার সাথে বসবাস করার জন্য লন্ডনে গমন করেন। লন্ডনে তার দাদার সাথে থাকার সময় পরাশুনার প্রতি তার গভীর ভালবাসা জন্মায় এবং প্রায়শই তার দাদার সাথে বিভিন্ন বিষয়ের উপর আলোচনা এবং পরাশুনা করে তার ঘন্টার পর ঘন্টা কেটে যেত। দাদা আলেকজান্ডার বেল তার নাতিকে তারই শিক্ষানবিশ শিষ্য হিসেবে গ্রহণ করেন এবং তাকে এই বিষয়ের প্রশিক্ষক হিসেবে গড়ে তোলার জন্য কঠোর পরিশ্রম করেন। মাত্র ১৬ বছর বয়সেই আলেকজান্ডার শিক্ষানবিশ শিক্ষক হিসেবে স্কটল্যান্ডের ওয়েস্টন হাউস একাডেমিতে যোগদান করেন। যদিও তখন তিনি ল্যাটিন এবং গ্রিক ভাষার ছাত্র ছিলেন, তিনি তার পরিচালিত প্রত্তেকটি ক্লাসের জন্য ১০ পাউন্ড করে পেতেন। এর পরের বছর তিনি এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন যেখানে তার বড় ভাইও পড়েছিলেন। ১৮৬৮ সালে স্বপরিবারে কানাডা চলে যাওয়ার আগে তিনি লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তার ম্যাট্রিকুলেশন সম্পন্ন করেছিলেন।",
"বেল ল্যাবরেটরিজ\nমার্কিন উদ্ভাবক আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেল টেলিফোন উদ্ভাবনের জন্য ১৮৮০ সালে ফরাসি সরকারের ‘ভোল্টা পুরস্কার’ লাভ করেন। এই পুরস্কারের জন্য গ্রাহাম বেল ১০ হাজার মার্কিন ডলার লাভ করেন। প্রাপ্ত অর্থ দিয়ে তিনি ওয়াশিংটনে ‘ভোল্টা ল্যাবরেটরি’ স্থাপন করেন। ১৮৮৪ সালে ভোল্টা ল্যাবরেটরি সবচেয়ে পুরোনো টেলিফোন সেবা কোম্পানি ‘আমেরিকান বেল টেলিফোন’ স্থাপন করে। ভোল্টা ল্যাবরেটরি ১৮৮৭ সালে ‘ভোল্টা ব্যুরো’ নামের গবেষণা প্রতিষ্ঠানে স্থানান্তরিত হয়। ১৯২৫ সালে ভোল্টা ব্যুরো পরিবর্তিত হয়ে ‘বেল ল্যাবরেটরি ইনকরপোরেশন’ নাম ধারণ করে। সম্মিলিতভাবে ‘ওয়েস্টার্ন ইলেকট্রিক রিসার্চ ল্যাবরেটরি’ ও ‘আমেরিকান টেলিফোন ও টেলিগ্রাফ কোম্পানি’ বিশ শতকের সবচেয়ে আধুনিক এই গবেষণাগার স্থাপন করে।",
"পাবলো এসকোবার\nপাবলো এমিলিও এসকোবার গভিরিয়া কলম্বিয়ার আন্তিওকুইয়া বিভাগের রিউনেগ্রো-এ ১ ডিসেম্বর ১৯৪৯-এ জন্মগ্রহণ করেন। তিনি কৃষক পিতা আবেল দে জেসুস দারি এসকোবর ইচেভারি (১৯১০–২০০১) এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা হেমিল্ডা দে লস ডলোরেস গভিরিয়া বেরিও (মৃত্যু. ২০০৬) এর সাত সন্তানের তৃতীয় সন্তান ছিলেন। মেদেয়িনের নিকটবর্তী শহরটিতে বেড়ে উঠা, এসকোবারের কিশোর বয়সেই তার অপরাধমূলক কর্মজীবন শুরু করে বলে মনে করা হয়, গোপনে সমাধি শিলা চুরি করে সেগুলোকে গুঁড়ো বানিয়ে স্থানীয় চোরাকারবারিদের কাছে সেগুলো পুন:বিক্রি করতেন। তাঁর ভাই, রবার্তো এসকোবার, এটি অস্বীকার করেন, পরিবর্তে দাবি যে সমাধি শিলাগুলো কবরস্থান মালিকদের থেকে এসেছিলো যেগুলোর দেখাশুনার জন্য লোকেরা অর্থ পরিশোধ করতো নাহ , এবং তার একজন আত্মীয় ছিল যার একটি স্মৃতিস্তম্ভের ব্যবসা ছিল। এসকোবারের ছেলে, সেবাস্তিয়ান মারোকুইন, দাবি করেন তাঁর বাবার অপরাধে যুক্ত হওয়া শুরু হয় একটি জাল হাই স্কুল ডিপ্লোমা বিক্রির অনুশীলনের মাধ্যমে, সেই জাল করা ডিপ্লোমা সনদগুলো ছিলো ইউনিভার্সিড অটোনোমা লাতিনোআমেরিকানার। এসকোবার অল্প সময়ের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত ছিলেন, কিন্তু ডিগ্রী অর্জন ছাড়াই তা ত্যাগ করেন।।"
] | 12 |
বাংলাদেশী অভিনেতা, মডেল, শিক্ষক ও গায়ক চঞ্চল চৌধুরীর মায়ের নাম কী ? | [
"চঞ্চল চৌধুরী\nচঞ্চল চৌধুরী বাংলাদেশের পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার নজিরগঞ্জ ইউনিয়নের কামারহাট গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম রাধা গোবিন্দ চৌধুরী এবং মায়ের নাম নমিতা চৌধুরী। তিনি গ্ৰামের স্কুল কামারহাট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক শিক্ষা এবং উদয়পুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক এবং রাজবাড়ি সরকারি কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিকে পড়াশোনা করেন। উচ্চমাধ্যমিক শেষ করার পর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চারুকলায় ভর্তি হন। ছোটবেলা থেকেই তার গানবাজনা, আবৃত্তি আর নাটকের প্রতি নেশা ছিল। পরে তার মঞ্চনাটকের প্রতি একটা আগ্রহ সৃষ্টি হয়।"
] | [
"চঞ্চল চৌধুরীর চলচ্চিত্রের তালিকা\nচঞ্চল চৌধুরী একজন বাংলাদেশী অভিনেতা, মডেল, শিক্ষক ও গায়ক। তার প্রথম টেলিভিশন নাটকে পদার্পন হয় ফরিদুর রহমানের \"গ্রাস\" নাটকের মাধ্যমে। খুব অল্প সময়ের মধ্যে দক্ষ অভিনেতা হিসেবে সুনাম অর্জন করা এই অভিনেতা পরবর্তীতে বেশ কয়েকটি ধারাবাহিক নাটকের পাশাপাশি অভিনয় করেন অনেকগুলো একপর্বের নাটকে। বর্তমান সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং ব্যস্ততম অভিনেতা হিসেবে বাংলাদেশের টিভি নাটক জগৎকে দিয়ে যাচ্ছেন একের পর এক দর্শকনন্দিত সব নাটক।",
"চঞ্চল চৌধুরী\nচঞ্চল চৌধুরী একজন বাংলাদেশী অভিনেতা, মডেল, শিক্ষক ও গায়ক। তিনি টেলিভিশন ও চলচ্চিত্র দুই মাধ্যমেই অভিনয় করে থাকেন। অভিনয়ের স্বীকৃতি হিসেবে তিনি শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে দুইবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, এবং সেরা অভিনেতা বিভাগে একটি দর্শক জরিপ পুরস্কার ও একটি সমালোচক পুরস্কার বিজয়সহ মোট দশটি মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন।",
"চঞ্চল চৌধুরী\nঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার ছাত্র, চঞ্চল চৌধুরী বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র বাজানো, অভিনয়, গান, ছবি আঁকা এসব কিছুতেই সমান পারর্দশী। তিনি কোডা, সোডা ও ইউডা কলেজের চারুকলার প্রভাষকও। চঞ্চলের অভিনয়জীবন শুরু হয় চারুকলার ছাত্র থাকাকালীন আরণ্যক নাট্যদলের সাথে যুক্ত হয়ে। পরবর্তীতে অসংখ্য নাটক ও টিভি সিরিজে অভিনয় করে দর্শকপ্রিয়তা অর্জন করেন চঞ্চল। তার প্রথম অভিনীত চলচ্চিত্র \"রূপকথার গল্প\" (২০০৬)। এছাড়া তিনি \"মনপুরা\" (২০০৯), টেলিভিশন (২০১৩), \"আয়নাবাজি\" (২০১৬), ও \"দেবী\" (২০১৮)-তে তাঁর অভিনয়নৈপুণ্য প্রদর্শন করে দর্শক ও সমালোচকদের ভূয়সী প্রশংসা লাভ করেছেন।",
"লক্ষ্যধর চৌধুরী\nলক্ষ্যধর চৌধুরী () অসমের সাহিত্য জগতে এক পরিচিত নাম। তিনি একাধারে একজন অভিনেতা, গল্পকার, চলচ্চিত্র পরিচালক, স্বাধীনতা সংগ্রামী ও শিক্ষাবিদ ছিলেন। তিনি অসম সাহিত্য সভার গোরেশ্বর অধিবেশনে ও অসম নাট্য সম্মেলনের নলবাড়ি অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেছিলেন। তাঁর রচিত সাহিত্যে সাধারণ জনগনের দুখ দুর্দশার পুর্ণ প্রতিফলন দেখা যায়\n১৯১৪ সনে উত্তর গুয়াহাটির রংমহল নামক স্থানে লক্ষ্যধর চৌধুরী জন্মগ্রহণ করেন। রংমহল প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে তিনি ১৯২৫ সনে গুয়াহাটির কটন কলেজিয়েট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নামভর্তি করেন। ১৯৩৩ সনে তিনি কটন কলেজ থেকে বিজ্ঞান শাখায় স্নাতক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। \nলক্ষ্যধর চৌধুরীর পিতার নাম ভূধর চৌধুরী ও মাতার নাম উমা চৌধুরী। তিনি ১৯৪৯ সনে ডিব্রুগড়ের উষা চৌধুরীকে বিবাহ করেন। তাঁদের সন্তানের নাম অমরজ্যোতি চৌধুরী ও অনুপজ্যোতি চৌধুরী। \n১৯৩৯ সনে উত্তর গুয়াহাটির আউনিআটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে একজন শিক্ষক হিসেবে কর্মজীবন আরম্ভ করেন। ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রভাব তাঁর জীবনে গভীরভাবে পড়েছিল। ফলে তিনি ১৯৪২ সনে শিক্ষকতা ছেড়ে স্বাধীনতা আন্দোলনে যোগদান করেন। ভারত ছাড় আন্দোলনে তিনি সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন যার ফলস্বরুপ তাঁকে বহুবার আত্মগোপন অবস্থায় থাকতে হয়। আন্দোলনের সময় তিনি জয় প্রকাশ নারায়ন, অরুণা আসফ আলী, অচ্যুত পটবর্দ্ধন, রাম মনোহর লোহিয়া ইত্যাদি বিখ্যাত ব্যক্তিদের সান্নিধ্যে আসেন ও সমাজবাদের প্রতি গভীরভাবে আকৃষ্ট হন।।",
"সামিনা চৌধুরী\nসামিনা চৌধুরী () (২৮ আগস্ট, ১৯৬৬ - বর্তমান) তিনি একজন বাংলাদেশী জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পী। তিনি বেশিরভাগই আধুনিক ও শাস্ত্রীয় গান গেয়েছেন। তাঁর উল্লেখযোগ্য গানগুলির মধ্যে রয়েছে - জন্ম থেকেই জ্বলছি মাগো, আমার বুকের মধ্যখানে, আমার দুই চোখে দুই নদী, একবার যদি কেউ, কবিতা পড়ার প্রহর, ফুল পথে ফুল ঝরে । তিনি ২০০৫ সালে এনটিভিতে প্রচারিত ক্লোজআপ ওয়ান সঙ্গীত প্রতিভা প্রতিযোগিতায় বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও তিনি চ্যানেল আই এর \"ক্ষুদে গান রাজ\" , এনটিভির \"ক্লোজআপ ওয়ান\", মাছরাঙ্গা টেলিভিশন এর \"ভালবাসি বাংলাদেশ\" এর বিচারক সহ আরও অন্যান্য কিছু রিয়্যালিটি শো অনুষ্ঠানের বিচারক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। সামিনা চৌধুরী বাংলা চলচ্চিত্রের জন্য প্লেব্যাক গায়িকা হিসেবে কাজ করেছেন। তার অনবদ্য অবদানের জন্য তিনি, সেরা প্লেব্যাক গায়িকা হিসাবে জন্য বাংলাদেশ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (২০০৬), শ্রেষ্ঠ মহিলা কণ্ঠশিল্পী হিসাবে বাচসাস পুরস্কার (১৯৮৪) এবং শ্রেষ্ঠ গায়িকা (২০০৫) এর জন্য মেরিল প্রথম আলো আলো পুরস্কার অর্জন করেছেন। তাঁর বাবা বিখ্যাত সঙ্গীত ব্যক্তিত্ব প্রয়াত মাহমুদুন্নবী এবং বোন বিখ্যাত সংগীত শিল্পী ফাহমিদা নবী।",
"মুনীর চৌধুরী\nআবু নয়ীম মোহাম্মদ মুনীর চৌধুরী (২৭ নভেম্বর ১৯২৫ - ১৪ ডিসেম্বর ১৯৭১) একজন বাংলাদেশি শিক্ষাবিদ, নাট্যকার, সাহিত্য সমালোচক, ভাষাবিজ্ঞানী, বাগ্মী এবং শহিদ বুদ্ধিজীবী। তিনি তৎকালীন ঢাকা জেলার মানিকগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পৈতৃক নিবাস নোয়াখালী জেলার চাটখিল থানাধীন গোপাইরবাগ গ্রামে। তিনি ছিলেন ইংরেজ আমলের একজন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট খান বাহাদুর আবদুল হালিম চৌধুরীর চৌদ্দ সন্তানের মধ্যে দ্বিতীয়। কবীর চৌধুরী তাঁর অগ্রজ, ফেরদৌসী মজুমদার তাঁর অনুজা। ১৯৪৯-এ লিলি চৌধুরীর সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।",
"চঞ্চল চৌধুরী\n২০১৬ সালের অক্টোবরে চঞ্চলকে অমিতাভ রেজা চৌধুরী পরিচালিত আয়নাবাজি ছবিতে দেখা যায়। এই ছবিতে তিনি নাম চরিত্র আয়নাসহ ছয়টি চরিত্রে অভিনয় করেন। চলচ্চিত্রটির জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে তার দ্বিতীয় জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন, এছাড়া সমালোচকদের জরিপে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার লাভ করেন। ২০১৮ সালে হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাস \"দেবী\" অবলম্বনে নির্মিত \"একই নামের\" চলচ্চিত্রে মিসির আলি চরিত্রে অভিনয় করেন। সরকারী অনুদান ও জয়া আহসান প্রযোজিত চলচ্চিত্রটি অক্টোবর মাসে মুক্তি পাবে। এই বছর সেপ্টেম্বর মাসে তিনি ও অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশা দুই বছরের জন্য মুঠোফোন সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান রবি আজিয়াটা লিমিটেডের শুভেচ্ছাদূত হন এবং আটটি বিজ্ঞাপন চিত্রে কাজের জন্য চুক্তিবদ্ধ হন।\nজাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার\nমেরিল প্রথম আলো পুরস্কার",
"কৃশদায়ান্তি\nকৃশদায়ান্তি (জন্ম: ২৪ মার্চ ১৯৭৫), প্রায়ই তার মনিকার কেডি দ্বারা পরিচিত, হচ্ছেন ইন্দোনেশিয়া এর একজন গায়িকা এবং অভিনেত্রী। তিনি ইনি শারা এর ছোট বোন, যিনি হচ্ছেন একজন ইন্দোনেশিয়ান গায়িকা। তিনি ট্রেনগোনোর এবং রাশমা উইদাদিনিংসিহ এর মেয়ে। মাত্র ৯ বছর বয়সে, তিনি সিনেমা মেগালোম্যান এর জন্য একটি গান গেয়েছিলেন। তিন বছর পর, তিনি তার প্রথম অ্যালবাম, \"বুরুং-বুরুং মালাম\" প্রকাশ করেন। অতঃপর তিনি একসঙ্গে \"কাতালান সি এমন\" নামে সাউন্ডট্র্যাক অ্যালবাম প্রকাশ করেন। যখন তিনি হাই স্কুলে ছিলেন, কৃশদায়ান্তি অনেক গান এবং মডেলিং প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন। ১৯৯১ সালে, তিনি গাদিস স্যাম্পুল প্রতিযোগিতা এর ফাইনাল পর্যন্ত পৌঁছেছিলেন।",
"বিক্রম (অভিনেতা)\nকেনেডি জন ভিক্টর (জন্ম ১৭ এপ্রিল ১৯৬৬) যিনি তার স্টেজনেইম বিক্রম অথবা চিয়াঁ বিক্রম নামে বেশি পরিচিত, একজন ভারতীয় অভিনেতা এবং গায়ক, যিনি সাধারণত তামিল ভাষার চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। তিনি সাতটি ফিল্মফেয়ার এ্যাওয়ার্ডের সঙ্গে সঙ্গে একটি ন্যাশনাল ফিল্ম এ্যাওয়ার্ড এবং তামিলনাড়ু স্টেট ফিল্ম এ্যাওয়ার্ডও জিতেছেন, অন্যান্য স্বীকৃতি এবং সম্মাননাসহ তিনি ২০১১ সালের মে মাসে পিপলস ইউনিভার্সিটি অব মিলান দ্বারা অনারারী ডক্টরেট উপাধি পান।"
] | 3 |
বাহরাই দ্বীপ রাষ্ট্রটির বৃহত্তম দ্বীপ কোনটি ? | [
"বাহরাইন\nবাহরাইন মধ্যপ্রাচ্যের একটি দ্বীপ রাষ্ট্র। বাহরাইন পারস্য উপসাগরের পশ্চিম অংশের ৩৬টি দ্বীপ নিয়ে গঠিত। এর পূর্বে কাতার ও পশ্চিমে সৌদী আরব। সবচেয়ে বড় দ্বীপটিও বাহরাইন নামে পরিচিত এবং এতে দেশটির বৃহত্তম শহর ও রাজধানী মানামা অবস্থিত।"
] | [
"বেরিং দ্বীপ\nবেরিং দ্বীপ () কোমান্দর্স্কি দ্বীপপুঞ্জের বৃহত্তম দ্বীপগুলির একটি। এটি কামচাটকা উপদ্বীপের পূর্বে, বেরিং সাগরের দক্ষিণ-পশ্চিম অংশে অবস্থিত। কোমান্দর্স্কি দ্বীপপুঞ্জের অন্য দ্বীপগুলির মত এটিও বৃক্ষশূন্য বিরান একটি দ্বীপ। এখানে রুশ নৌ ও বেতার কেন্দ্র ছাড়া কোন লোকালয় নেই। ডেনীয় নাবিক ভিতুস বেরিঙের নামে দ্বীপটির নামকরণ করা হয়। এর আয়তন ১,৬০০ কিলোমিটার।",
"নিউ প্রভিডেন্স\nনিউ প্রভিডেন্স হলো বাহামা দ্বীপপুঞ্জের সবচেয়ে জনবহুল দ্বীপ। বাহামা দ্বীপপুঞ্জের মোট জনসংখ্যার ৭০% এ দ্বীপে বাস করে। বাহামা দ্বীপপুঞ্জের রাজধানী নাসাউ নিউ প্রভিডেন্স দ্বীপে অবস্থিত। ক্রিস্টোফার কলম্বাসের নিউ ওয়ার্ল্ড আবিস্কারের পর দ্বীপের মালিকানা স্পেনের ছিলো। কিন্তু এখানে বসতি স্থাপন করতে স্প্যানিশ সরকারের কোন আগ্রহ ছিলো না। দ্বীপের সবচেয়ে বড় শহর নাসাউের পূর্বনাম ছিলো চার্লসটাউন। এটি ১৬৮৪ সালে স্প্যানিশদের দ্বারা ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়। এটি পুননির্মাণ এবং পুননামকরণ করেন নিকোলাস ট্রট।",
"গাঙ্গেয় ব-দ্বীপ\nগাঙ্গেয় ব-দ্বীপ দক্ষিণ এশিয়ায় অবস্থিত একটি ব-দ্বীপ যা বাংলাদেশ এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ নিয়ে গঠিত। এটি পৃথিবীর অন্যতম বৃহত্তম ব-দ্বীপ। গাঙ্গেয় ব-দ্বীপ বঙ্গোপসাগরে সঞ্চিত হয়েছে। গাঙ্গেয় ব-দ্বীপ, যাকে অনেক সময় গঙ্গা-ব্রক্ষ্মপুত্র ব-দ্বীপ নামেও অভিহিত করা হয়, বঙ্গপোসাগরের তীর বরাবর প্রায় ২২০ মাইল চওড়া। এটি পশ্চিমে হুগলী নদী হতে পূর্বে মেঘনা নদী পর্যন্ত বিস্তৃত। ভারতের কলকাতা বন্দর এবং বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দর এই ব-দ্বীপের প্রধান সমুদ্র বন্দর।",
"নিকারাগুয়া হ্রদ\n৮০০১ বর্গ কিলোমিটার উপরিতলের ক্ষেত্রফল বিশিষ্ট লেক নিকারাগুয়া মধ্য আমেরিকার বৃহত্তম ও টিটিকাকা হ্রদের পরে লাতিন আমেরিকার দ্বিতীয় বৃহত্তম হ্রদ। এর জল মিষ্ট বা স্বাদু। এই হ্রদের জলে প্রায় ৪০০ ছোটবড় দ্বীপের দেখা পাওয়া যায়। এর মধ্যে হ্রদের উত্তরভাগে জাপাতেরা (স্পেনীয় উচ্চারণ 'থাপাতেরা') ও মধ্যভাগে অবস্থিত ওমেতেপে দ্বীপদু'টি বৃহত্তম। এই দ্বীপগুলি মূলত আগ্নেয়গিরিজাত। শুধুমাত্র ওমেতেপে দ্বীপটিতেই দুটি আগ্নেয়গিরি দেখতে পাওয়া যায়। এর মধ্যে কনসেপসিওন পর্বতটির উচ্চতা ১৬১০ মিটার, অন্যদিকে মাদেরাস পর্বতটির উচ্চতা ১৩৪০ মিটার। ভূতাত্ত্বিকদের মতে আদতে এই দ্বীপটি ছিল দু'টি পৃথক আগ্নেয়গিরিকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা দু'টি পৃথক দ্বীপ। কিন্তু পরবর্তী কালে দুই আগ্নেয়গিরি সঞ্জাত লাভাপ্রবাহের দ্বারা দু'টি দ্বীপ পরস্পর যুক্ত হয়ে আজকের ওমেতেপে দ্বীপটি গঠিত হয়।\nহ্রদের মধ্যে অবস্থিত অসংখ্য দ্বীপের মধ্যে দক্ষিণপ্রান্তে কোস্তা রিকা সীমানার কাছাকাছি সোলেনটিনামে দ্বীপপুঞ্জ বোধহয় সবচেয়ে পরিচিত। সান কার্লোস শহরের ১০-৩০ কিলোমিটার পশ্চিমে চারটি বড় দ্বীপ, (পশ্চিম থেকে পূর্বে) \"মানসারানসিতো\", \"মানসারন\", \"সান ফের্নান্দো\" ও \"লা ভেনাদা\" এবং আরও ৩২টি ছোট ছোট দ্বীপ নিয়ে গঠিত এই দ্বীপপুঞ্জটি শিল্পী ও যাজক এর্নেস্তো কার্দেনাল'এর বাসস্থান হিসেবে ৬০'এর দশকের মাঝামাঝি থেকে বিখ্যাত হয়ে ওঠে। হ্রদের মধ্যে অবস্থিত অন্যান্য দ্বীপের মতো এই দ্বীপগুলোও আগ্নেয়গিরিজাত।",
"হোক্কাইদো\n() হল জাপানের দ্বিতীয় বৃহত্তম দ্বীপ এবং বৃহত্তম ও সবচেয়ে উত্তরে অবস্থিত প্রশাসনিক অঞ্চল। অতীতে এই দ্বীপের বিভিন্ন নাম ছিল, যেমন এযো, ইয়েযো, ইয়েসো প্রভৃতি। হোক্কাইদো হোনশু দ্বীপ থেকে ৎসুগারু প্রণালী দ্বারা বিচ্ছিন্ন। সমুদ্রের নিচে সেইকান্ সুড়ঙ্গের মাধ্যমে দুই দ্বীপের মধ্যে রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা আছে। রাজধানী শহর সাপ্পোরো হল হোক্কাইদোর বৃহত্তম নগর। এটি সমগ্র দ্বীপে সরকারী অধ্যাদেশের মাধ্যমে প্রত্যয়িত একমাত্র নগরও বটে।",
"তেনেরিফে\nতেনেরিফে () হল সাতটি ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জের বৃহত্তম এবং সবচেয়ে জনবহুল দ্বীপ।আটলান্টিক মহাসাগর একটি দ্বীপ অন্তর্গত হয় কানারি দ্বীপপুঞ্জ, স্পেন। এটি ৮৯৮.৬৮০ জন বাসিন্দারা এর একটি জনসংখ্যা স্পেন সবচেয়ে জনবহুল দ্বীপ এবং ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জ সর্ববৃহৎ দ্বীপ আছে। রাজধানী সান্টা ক্রুজ দে তেনেরিফে হয়।",
"কোমান্দর্স্কি দ্বীপপুঞ্জ\nকোমান্দর্স্কি দ্বীপপুঞ্জ () কামচাটকা উপদ্বীপ থেকে ১৭৫ কিলোমিটার পূর্বে বেরিং সাগরে অবস্থিত কতগুলি বৃক্ষহীন দ্বীপ। এগুলির মধ্যে আছে বেরিং দ্বীপ, মেদ্নি দ্বীপ, এবং ১৫টি ক্ষুদ্রতর দ্বীপ। ক্ষুদ্রতর দ্বীপগুলির মধ্যে বৃহত্তমগুলি হল কামেন তোপোর্কফ এবং আরি দ্বীপ। প্রশাসনিকভাবে এই দ্বীপগুলি কামচাটকা ক্রাইয়ের আলেউতস্কি জেলার অন্তর্ভুক্ত।",
"আবু মুসা দ্বীপ\nআবু মুসা দ্বীপ ( ; ) হরমুজ প্রণালির একেবার কাছেই অবস্থিত একটি ক্ষুদ্র দ্বীপ। এ দ্বীপটির কৌশলগত গুরুত্ব অপরিসীম। কারণ এ দ্বীপ হচ্ছে ধনী উপসাগরীয় কয়েকটি দেশের প্রবেশদ্বার হিসেবে পরিচিত। দ্বীপটির মালিকানা নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ইরানের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে।১৯৭১ সালে শারজাহতে অনুষ্ঠিত এক সমঝোতা বৈঠকে শারজাহ চুক্তির মাধ্যমে ইরান এর অধিকাংশ এলাকার ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে। কিন্তু পরবর্তীতে দ্বীপের পাশবর্তী লেসার টম্ব এবং গ্রেটার টম্ব অঞ্চল দুইটি দখল করে। কয়েক বছর পূর্বে ইরান যোষণা দেয় যে, ইরানই হচ্ছে আবু মূসা দ্বীপ একমাত্র স্বত্বাধিকারী। ইরান এই দ্বীপকে একটি সামরিক ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করছে এবং হরমুজ প্রণালীর উপর নজর রাখতে সক্ষম হচ্ছে। তবে ইরান একতরফাভাবে এ দ্বীপের মালিকানা দাবি করে আসছে।",
"জাপান\nজাপান একটি যৌগিক আগ্নেয়গিরীয় দ্বীপমালা। এই দ্বীপমালাটি ৬,৮৫২টি দ্বীপ নিয়ে গঠিত। জাপানের বৃহত্তম চারটি দ্বীপ হল হোনশু, হোক্কাইদো, ক্যুশু ও শিকোকু। এই চারটি দ্বীপ জাপানের মোট ভূখণ্ডের ৯৭% এলাকা নিয়ে গঠিত। জাপানের জনসংখ্যা ১২৬ মিলিয়ন। জনসংখ্যার হিসেবে এটি বিশ্বের ১০ম বৃহত্তম রাষ্ট্র। জাপানের রাজধানী টোকিও শহরের জনসংখ্যা প্রায় ৯.১ মিলিয়ন। এই শহরটি অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও উন্নয়ন সংস্থার ২য় বৃহত্তম মূল শহর। টোকিও ও পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন রাজ্য নিয়ে গঠিত বৃহত্তর টোকিও অঞ্চলের জনসংখ্যা ৩৫ মিলিয়নেরও বেশি। এটি বিশ্বের বৃহত্তম মহানগরীয় অর্থনীতি।"
] | 100 |
চর্যাপদ কি বাংলা ভাষার আদি নিদর্শন ? | [
"চর্যাপদ\nচর্যাপদ বাংলা ভাষার প্রাচীনতম পদ সংকলন তথা সাহিত্য নিদর্শন। নব্য ভারতীয় আর্যভাষারও প্রাচীনতর রচনা এটি। খ্রিস্টীয় অষ্টম থেকে দ্বাদশ শতাব্দীর মধ্যবর্তী সময়ে রচিত এই গীতিপদাবলির রচয়িতারা ছিলেন সহজিয়া বৌদ্ধ সিদ্ধাচার্যগণ। বৌদ্ধ ধর্মের গূঢ় অর্থ সাংকেতিক রূপের আশ্রয়ে ব্যাখ্যার উদ্দেশ্যেই তাঁরা পদগুলো রচনা করেছিলেন। বাংলা সাধন সংগীত শাখাটির সূত্রপাতও হয়েছিলো এই চর্যাপদ থেকেই। সে বিবেচনায় এটি একটি ধর্মগ্রন্থজাতীয় রচনা। একই সঙ্গে সমকালীন বাংলার সামাজিক ও প্রাকৃতিক চিত্রাবলি এই পদগুলোতে উজ্জ্বল। এর সাহিত্যগুণ এখনও চিত্তাকর্ষক। ১৯০৭ খ্রিস্টাব্দে মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী, নেপালের রাজদরবারের গ্রন্থশালা থেকে চর্যার একটি খণ্ডিত পুঁথি উদ্ধার করেন। পরবর্তীতে আচার্য সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় ভাষাতাত্ত্বিক বিশ্লেষণের মাধ্যমে চর্যাপদের সঙ্গে বাংলা ভাষার অনস্বীকার্য যোগসূত্র বৈজ্ঞানিক যুক্তিসহ প্রতিষ্ঠিত করেন। চর্যাপদের প্রধান কবিগণ হলেন লুইপাদ, কাহ্নপাদ, ভুসুকুপাদ, শবরপাদ প্রমুখ।",
"সন্ধ্যা ভাষা\nবাংলা ভাষার প্রাচীনতম নিদর্শন চর্যাপদ যে ভাষায় লেখা হয়েছে তা সন্ধ্যাভাষা নামে পরিচিত। সন্ধ্যা কোনো ভাষার নাম না হলেও দুর্বোধ্যতার কারনে এরুপ নামকরণ করা হয়েছে। এই ধরনের ভাষারীতিতে শব্দের দুটি অর্থ থাকে - একটি তার সাধারণ অর্থ, অন্যটি নিগুঢ় অর্থ।\nমহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী নেপালের রাজদরবার থেকে ১৯০৭ সালে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের আদি নিদর্শন হিসেবে স্বীকৃত একটি প্রাচীন পুথি আবিষ্কার করেন এবং ১৯১৬ সালে হাজার বছরের পুরাণ বাঙ্গালা ভাষায় বৌদ্ধ গান ও দোহা নামে সম্পাদনা করে তা প্রকাশ করেন। ওই গ্রন্থে ধর্ম সম্বন্ধীয় কিছু গান ও দোহা আছে। প্রথমগুলির নাম ‘চর্য্যাশ্চর্য্যবিনিশ্চয়’ (ধর্মসাধনার ব্যাপারে আচরণীয় ও অনাচরণীয়ের নির্দেশ)। পদ্যাকারে গ্রথিত হওয়ায় এগুলিকে চর্যাপদ বা চর্যাগীতি বলা হয়। হরপ্রসাদ শাস্ত্রী এগুলির ভাষাকে বলেছেন ‘সন্ধ্যা ভাষা’। সুকুমার সেনের মতে ‘সন্ধ্যা’ শব্দটিতে প্রকটভাবে রয়েছে ‘ধ্যৈ’ (বা ‘ধা’) ধাতুর অর্থ। যে ভাষায় অভীষ্ট অর্থ বুঝতে হয় অনুধাবনের মাধ্যমে বা মর্মজ্ঞ হয়ে [সম্+ধ্যৈ] অথবা যে ভাষায় ভাবার্থ বিশেষভাবে গুপ্ত [সম্+ধা] তা-ই সন্ধ্যা ভাষা।",
"বাংলা সাহিত্য\n= বিভিন্ন সময়ের বিশেষায়িত সাহিত্যধারা-সমূহ =\nচর্যাপদ বাংলা ভাষার প্রাচীনতম কাব্য তথা সাহিত্য নিদর্শন। নব্য ভারতীয় আর্যভাষারও প্রাচীনতম রচনা এটি। খ্রিস্টীয় দশম থেকে দ্বাদশ শতাব্দীর মধ্যবর্তী সময়ে রচিত এই গীতিপদাবলির রচয়িতারা ছিলেন সহজিয়া বৌদ্ধ সিদ্ধাচার্যগণ। বৌদ্ধ ধর্মের গূঢ়ার্থ সাংকেতিক রূপবন্ধে ব্যাখ্যার উদ্দেশ্যেই তাঁরা পদগুলি রচনা করেছিলেন। বাংলা সাধন সংগীতের শাখাটির সূত্রপাতও এই চর্যাপদ থেকেই। এই বিবেচনায় এটি ধর্মগ্রন্থ স্থানীয় রচনা। একই সঙ্গে সমকালীন বাংলার সামাজিক ও প্রাকৃতিক চিত্রাবলি এই পদগুলিতে উজ্জ্বল। এর সাহিত্যগুণ আজও চিত্তাকর্ষক। ১৯০৭ খ্রীস্টাব্দে মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী নেপালের রাজদরবারের গ্রন্থশালা থেকে চর্যার একটি খণ্ডিত পুঁথি উদ্ধার করেন। পরবর্তীতে আচার্য সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় ভাষাতাত্ত্বিক বিশ্লেষণের মাধ্যমে চর্যাপদের সঙ্গে বাংলা ভাষার অনস্বীকার্য যোগসূত্র বৈজ্ঞানিক যুক্তিসহ প্রতিষ্ঠিত করেন। চর্যার প্রধান কবিগণ হলেন লুইপাদ, কাহ্নপাদ, ভুসুকুপাদ, শবরপাদ প্রমুখ।",
"বাংলা কবিতা\nচর্যাপদ বাংলা ভাষার প্রাচীনতম কাব্য তথা সাহিত্য নিদর্শন। নব্য ভারতীয় আর্যভাষারও প্রাচীনতম রচনা এটি। খ্রিস্টীয় দশম থেকে দ্বাদশ শতাব্দীর মধ্যবর্তী সময়ে রচিত এই গীতিপদাবলির রচয়িতারা ছিলেন সহজিয়া বৌদ্ধ সিদ্ধাচার্যগণ। চর্যাপদের ২৪ জন পদকর্তা হচ্ছেন লুই পা, কুক্কুরীপা, বিরুআপা, গুণ্ডরীপা, চাটিলপা, ভুসুক পা, কাহ্নপাদ, কাম্বলাম্বরপা, ডোম্বীপা, শান্তিপা ,মহিত্তাপা, বীণাপা, সরহপা, শবর পা, আজদেবপা, ঢেণ্ঢণপা, দারিকপা, ভাদেপা, তাড়কপা, কঙ্কণপা , জঅনন্দিপা, ধামপা, তান্তীপা, লাড়ীডোম্বীপা।",
"বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস\n\"চর্যাপদ\" বাংলা লিখিত সাহিত্যের প্রাচীনতম নিদর্শন। ধারণা করা হয় এটি খ্রিস্টীয় দশম থেকে দ্বাদশ শতাব্দীর মধ্যবর্তী সময়ের মধ্যে রচিত হয়েছিল। চর্যার প্রধান কবিগণ হলেন লুইপাদ, কাহ্নপাদ, ভুসুকুপাদ, শবরপাদ প্রমুখ। ১৯০৭ খ্রিস্টাব্দে মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী, নেপালের রাজদরবারের গ্রন্থশালা থেকে চর্যার একটি খণ্ডিত পুঁথি উদ্ধার করেন। পরবর্তীতে আচার্য সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় ভাষাতাত্ত্বিক বিশ্লেষণের মাধ্যমে চর্যাপদের সঙ্গে বাংলা ভাষার অনস্বীকার্য যোগসূত্র বৈজ্ঞানিক যুক্তিসহ প্রতিষ্ঠিত করেন।",
"পশ্চিমবঙ্গ\nবাংলা ভাষায় রচিত সাহিত্য যথেষ্ট সমৃদ্ধ ও প্রাচীন ঐতিহ্যের বাহক। বাংলা ভাষার প্রাচীনতম নিদর্শন চর্যাপদের (দশম-দ্বাদশ শতাব্দী) কবিরা পশ্চিমবঙ্গের রাঢ় অঞ্চলের কথ্য ভাষারীতিকে সাহিত্যের ভাষা হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন। বাংলা সাহিত্যের দ্বিতীয় প্রাচীনতম নিদর্শন \"শ্রীকৃষ্ণকীর্তন\" (পঞ্চদশ শতাব্দী) কাব্যের রচয়িতা বড়ু চণ্ডীদাস ছিলেন অধুনা বাঁকুড়া জেলার ছাতনার বাসিন্দা। মধ্যযুগে মঙ্গলকাব্য ধারাতেও রাঢ়ের বহু কবির রচনা পাওয়া যায়। মনসামঙ্গল ধারার কবি নারায়ণ দেব পূর্ববঙ্গের কিশোরগঞ্জ অঞ্চলের বাসিন্দা হলেও আদতে রাঢ়বঙ্গের মানুষ ছিলেন। এই ধারার কবি কেতকাদাস ক্ষেমানন্দ ছিলেন গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ অঞ্চলের বাসিন্দা। চণ্ডীমঙ্গল ধারার সর্বশ্রেষ্ঠ কবি মুকুন্দরাম চক্রবর্তী ছিলেন বর্ধমান জেলার দামুন্যা গ্রামের অধিবাসী।",
"বাংলা সাহিত্য\nবাংলা ভাষায় রচিত সাহিত্যের আদিতম নিদর্শন হল চর্যাপদ। খ্রিষ্টীয় দশম থেকে দ্বাদশ শতাব্দীর মধ্যবর্তী সময়ে রচিত চর্যা পদাবলি ছিল সহজিয়া বৌদ্ধ সিদ্ধাচার্যদের সাধনসংগীত। আধুনিক ভাষাতাত্ত্বিকগণ বৈজ্ঞানিক তথ্যপ্রমাণের সাহায্যে প্রমাণ করেছেন যে চর্যার ভাষা প্রকৃতপক্ষে হাজার বছর আগের বাংলা ভাষা। সমকালীন বাংলার সামাজিক ও প্রাকৃতিক চিত্র এই পদগুলিতে প্রতিফলিত হয়েছে। সাহিত্যমূল্যের বিচারে কয়েকটি পদ কালজয়ী।"
] | [
"বাংলা সাহিত্য\nবাংলা লোক সাহিত্যের অমূল্য সম্পদ হল:= বাংলা গদ্যের উন্মেষপর্ব =\nচিঠিপত্র লেখা এবং দলিল-দস্তাবেজ লেখার প্রয়োজনে বাংলা গদ্যের সূত্রপাত। দলিল-দস্তাবেজ ইত্যাদি সংস্কৃত ও পার্সি - এই দুই ভাষার প্রভাবে পরিকীর্ণ। আদি সাহিত্যিক গদ্যে কথ্যভাষার প্রতিফলন সুস্পষ্ট। পর্তুগীজ ধর্মপ্রচারক মানোএল দা আস্সুম্পসাঁউ-এর রচনা রীতি বাংলা গদ্যের অন্যতম আদি নিদর্শন। ১৭৪৩ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত কৃপার শাস্ত্রের অর্থ ভেদ গ্রন্থ থেকে নিম্নরূপ উদাহরণ দেয়া যেতে পারে। লক্ষ্যণীয় এই অংশে বৃহত্তর ঢাকা এলাকার কথ্য ভাষা প্রতিফলিতঃ–",
"চর্যাপদ\nহরপ্রসাদ শাস্ত্রী তাঁর সম্পাদিত \"হাজার বছরের পুরাণ বাঙ্গালা বৌদ্ধ গান ও দোহা\" গ্রন্থের ভূমিকায় \"চর্যাচর্যবিনিশ্চয়\", সরহপাদ ও কৃষ্ণাচার্যের দোহা এবং \"ডাকার্ণব\"-কে সম্পূর্ণ প্রাচীন বাংলার নিদর্শন বলে দাবি করেছেন। \"শ্রীকৃষ্ণকীর্তন\" কাব্যের আবিষ্কর্তা ও সম্পাদক বসন্তরঞ্জন রায় বিদ্বদ্বল্লভও তাঁর দাবিকে সমর্থন করেন। ১৯২০ খ্রিস্টাব্দে বিজয়চন্দ্র মজুমদার তাঁদের দাবি অস্বীকার করে চর্যা ও অন্যান্য কবিতাগুলির সঙ্গে বাংলা ভাষার সম্বন্ধের দাবি নস্যাৎ করার চেষ্টা করেন। কিন্তু ১৯২৬ খ্রিস্টাব্দে ডক্টর সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় তাঁর \"The Origin and Development of the Bengali Language\" গ্রন্থে চর্যাগান ও দোহাগুলির ধ্বনিতত্ত্ব, ব্যাকরণ ও ছন্দ বিশ্লেষণ করে শুধুমাত্র এইগুলিকেই প্রাচীন বাংলার নিদর্শন হিসাবে গ্রহণ করেন। ১৯২৭ খ্রিস্টাব্দে ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ প্যারিস থেকে প্রকাশিত \"Les Chants Mystique de Saraha et de Kanha\" গ্রন্থে সুনীতিকুমারের মত গ্রহণ করেন।",
"চর্যাপদ\nপ্রাচীন বাংলার ভাষাতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্যগুলির সন্ধানে প্রাকৃত বাংলায় রচিত চর্যাপদ একটি মূল্যবান উপাদান। ১৯২৬ খ্রিস্টাব্দে ডক্টর সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় প্রথম এই বৈশিষ্ট্যগুলি নিয়ে বিজ্ঞানসম্মত আলোচনা করেন তাঁর \"The Origin and Development of the Bengali Language\" গ্রন্থে। এরপর ডক্টর সুকুমার সেন, ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ, তারাপদ মুখোপাধ্যায়, পরেশচন্দ্র মজুমদার ও ডক্টর রামেশ্বর শ' চর্যার ভাষাতত্ত্ব নিয়ে বিস্তারিত গবেষণা করেন। ফলে আজ চর্যার ভাষার স্বরূপটি অনেক বেশি সুস্পষ্ট হয়ে গেছে।\nচর্যার পদগুলি প্রধানত পয়ার ও ত্রিপদী পদে রচিত। এতে মাত্রাছন্দের প্রভাবও দেখা যায়। ১৬ মাত্রার পাদাকুলক ছন্দের ব্যবহারই এখানে বেশি। তবে সর্বত্র নির্দিষ্ট মাত্রারীতি দেখা যায়নি। ছন্দপংক্তির পর্বসংখ্যাগত বৈচিত্র্যও এই পদগুলির অন্যতম বৈশিষ্ট্য। ডক্টর অসিতকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় মনে করেন, “তত্ত্বকথার ব্যাখ্যা এবং তাকে ব্রাহ্মণ সমাজের শ্যেনদৃষ্টি থেকে গোপন করা – এই দিকে পদকর্তারা এবং সিদ্ধাচার্যরা অত্যন্ত সচেতন ছিলেন বলে কবিতার আঙ্গিকের দিকে দৃষ্টি দেবার অবকাশ পাননি। তবে একটা কথা সত্য, চর্যাগানেই সর্বপ্রথম পয়ার-ত্রিপদীর আদিসুর ধ্বনিত হয়েছে। সংস্কৃতে রচিত গীতগোবিন্দও এর প্রভাব অস্বীকার করতে পারেনি।”"
] | 75 |
অ্যাপল আইওএস মোবাইলে কি ড্রপবক্সের ব্যবহার করা যায় ? | [
"ড্রপবক্স\nড্রপবক্স মাইক্রোসফট উইন্ডোজ, অ্যাপল ইনকর্পোরেটেড, ম্যাক ওএস এক্স, লিনাক্স, গুগল অ্যান্ড্রয়েড, অ্যাপল আইওএস, ব্ল্যাকবেরি ওএস এবং ওয়েব ব্রাউজারগুলোর জন্য ক্লায়েন্ট সফটওয়্যার সরবরাহ করে থাকে।"
] | [
"আইওএস\n২০০৭ সালে প্রথম আইফোনের জন্যে এ অপারেটিং সিস্টেম প্রকাশ করলেও পরবর্তীতে অ্যাপলের অন্যান্য যন্ত্রেও এর ব্যবহার শুরু করে তারা। উদাহরনস্বরূপ, আইপ্যাড, আইপড টাচে আইওএস এর আলাদা আলাদা সংস্করণ ব্যবহৃত হয়। , অ্যাপলের অ্যাপ স্টোরে প্রায় ২২ লাখ অ্যাপ্লিকেশন রয়েছে যার মধ্যে ১০ লাখই আইপ্যাডের জন্যে এবং এ মোবাইল এপ্লিকেশনগুলো ১৩ কোটিবারেরও অধিক ডাউনলোড করা হয়েছে। \nআইওএসের ইউজার ইন্টারফেস সরাসরি পরিচালনা করা যায় স্পর্শের মাধ্যমে। ব্যবহারকারী প্রদত্ত ইনপুটের প্রতিক্রিয়া তৎক্ষণাৎ পাওয়া যায়। ব্যবহারকারীকে সহায়তার জন্য কম্পনের মাধ্যমে স্পর্শ বিষয়ে জানানো হয় যাকে হ্যাপটিিিক ফিডব্যাক বলে। অভ্যন্তরীন হার্ডওয়্যারের বিভিন্ন অংশ যেমন অ্যাকসেলেরোমিটার, জাইরোস্কোপ এবং প্রক্সিমিটি সেন্সর বিভিন্ন এপ আনুষঙ্গিক কাজে ব্যবহারকারীর জন্য এগুলো ব্যবহার করে থাকে। যেমন- ডিভাইসটি অনুভূমিক বা উলম্ব থাকলে প্রদর্শনী ঠিক করা, রেস গেম খেলার সময় গাড়ির নিয়ন্ত্রন করা ইত্যাদি।",
"আইওএস\nআইওএস প্রথমদিকে সিস্টেম লিপি হিসাবে হেলভেটিকা ব্যবহার করতো। যেখান থেকে আইফোন ৪ ও তার রেটিনা পর্দার জন্যে অ্যাপল পরবর্তীতে হেলভেটিকা নিউয়িতে স্থানান্তরিত হয়। তবে হেলভেটিকাকে পুরোনো আইফোন যন্ত্র, আইওএস ৪-এর জন্যে সিস্টেম লিপি হিসাবে রেখে দিয়েছে। আইওএস ৭ এ, অ্যাপল ঘোষণা করে, তারা সিস্টেম লিপি হিসাবে হেলভেটিকা নিউয়ি লাইট ব্যবহার করবে এখন থেকে, এবং লো-রেজ্যুলেশনের মোবাইল পর্দায় হালকা ও চিকন লিপি ব্যবহারে জন্যে অ্যাপল সমালোচিত হয়। অ্যাপল তাই হেলভেটিকা নিউয়িকেই নির্বাচন করে। আইওএস ৭ মুক্তি টেক্সটের আয়তন পরিবর্তন ও অন্যান্য টেক্সট এক্সেসিবিলিটি সেটিংসের মাধ্যমে প্রয়োগের সুযোগ করে দেয়। আইওএস ৯ থেকে অ্যাপল নিজেদের স্যান ফ্রান্সিসকো লিপি ব্যবহার শুরু করে।",
"আইপ্যাড ২\nআইওএস নকশা দ্বারা আরোপিত নিষেধাজ্ঞা কিছু ইস্যুর কারণ হয়।উদাহরণস্বরূপ, ডিআরএম (ডিজিটাল রাইট ম্যানেজম্যান্ট) অ্যাপল প্ল্যাটফর্মের কাছে ক্রয়কৃত মিডিয়া লক করতে চাওয়া, ডেভেলপমেন্ট মডেল (আইওএস এর জন্য উন্নীত অ্যাপগুলো বিতরণের জন্য প্রয়োজনীয় বাৎসরিক সাবস্ক্রিপশন), অ্যাপসগুলির জন্য কেন্দ্রীয় অনুমোদন প্রক্রিয়ার পাশাপাশি অ্যাপলের সাধারণ নিয়ন্ত্রণ এবং নিজেই একটি তালাবদ্ধ প্লার্টফরম হওয়া।বিশেষত, ইস্যুতে আসে অ্যাপলের অ্যাপ নিষ্ক্রিয় ও মুছে ফেলার ক্ষমতা ও স্বাধীনতা।প্রযুক্তি জগতের কিছু অংশ তাদের উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যে, বদ্ধ আইওএস ব্যবস্থা কম্পিউটিং-এর প্রতি অ্যাপলের ক্রমবর্ধমান প্রবণতার প্রতিনিধিত্ব করে, বিশেষত অ্যাপলের মেশিন থেকে সরে যাওয়া যাতে ওরা টিকে থাকতে পারে এবং বদ্ধ ব্যবস্থার এই ধরনের নিষেধাজ্ঞাগুলির \" নতুন সফ্টওয়্যার উদ্ভাবন\" দমন করার সম্ভাব্যতা ও ক্ষমতা রয়েছে বলে মনে করেন।",
"আইওএস\nমূল পর্দায় এপ্লিকেশন আইকন ও একদম নিচে একটি ডক দেখা যায়। ব্যবহারকারী তার সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত এপ্লিকেশনগুলো ডকে রাখতে পারে। যন্ত্রটি আনলক করার সাথে সাথেই কিংবা অন্য কোন এপ্লিকেশনে থাকা অবস্থায় হোম বোতমে চাপ দিলে হোমস্ক্রিন বা মূল পর্দা এসে যায়। আইওএস ৪ এ ওয়ালপেপার শুধুমাত্র জেলব্রেক করেই পরিবর্তন করা যেতো, কিন্তু এখন স্বাভাবিকভাবেই করা যায় তা। আর ডিসপ্লের একদম উপরে স্ট্যাটাস বার রয়েছে বিভিন তথ্য প্রদর্শনের জন্য- যেমন, সময়, ব্যাটারি লেভেল এবং সিগনেল ক্ষমতা ইত্যাদি। অই অংশ এবং আইফোন দশের নিচে নেভিগেশন বারের অল্প একটু অংশ ছাড়া স্ক্রিনের বাকী অংশটুকু বর্তমানে ব্যবহৃত এপ্লিকেশনের জন্যেই উজার থাকে। আইফোন ওএস ৩-এ স্পটলাইট এপ্লিকেশনের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়া হয়, যার সাহায্যে মিডিয়া, এপ্লিকেশন, কন্টাক্ট, বার্তা, দিনলিপি ইত্যদি খুঁজতে পারা যায়। আইওএস ৭ এবং তার পরবর্তী সংস্করণে স্পটলাইট এপ্লিকেশনে স্ক্রিনের উপরে এবং নিচে ছাড়া যেকোন অংশ থেকে টেনে প্রবেশ করা যেতো। আইওএস ৯ থেকে স্পটলাইটে দুভাবে প্রবেশ করা যেতো। এক আইওএস ৭ এর মত স্ক্রিন টেনে ধরে বা সিরির মাধ্যমে। আইওএসে ১০ এ স্পটলাইট টুডে প্যানেলের শীর্ষে পাওয়া যায়।",
"অ্যাপল পে\nঅ্যাপল পে অ্যাপল ইনকর্পোরেটেড দ্বারা পরিচালিত একটি মোবাইল পেমেন্ট এবং ডিজিটাল ওয়ালেট পরিষেবা যা ব্যবহারকারীদের আইওএস অ্যাপ্লিকেশন এর মাধ্যমে ব্যক্তিগতভাবে এবং ওয়েবে পেমেন্ট করতে সক্ষম করে।\nএটি আইফোন, অ্যাপল ওয়াচ, আইপ্যাড এবং ম্যাক -এ সমর্থিত। এটি ডিজিটাইজ করে এবং একটি ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ড চিপ এবং পিন বা চৌম্বকীয় স্ট্রিপ লেনদেনটি করতে বিক্রয় প্রতিষ্ঠানে যোগাযোগ করতে সক্ষম \nএটি ইতোমধ্যে টাচ আইডি, ফেস আইডি, পিন বা পাসকোডের মাধ্যমে দুই-ফ্যাক্টর প্রমাণীকরণ যুক্ত করার সাথে সাথে, অনেক দেশে ইতিমধ্যেই যোগাযোগহীন অর্থপ্রদানের অনুরূপ।\nএই সেবাটি অ্যাপল ডিভাইসগুলিকে একটি কাছাকাছি ফিল্ড কমিউনিকেশন (এনএফসি)বেতার এনটিনা ব্যবহার করে বিক্রির ব্যবস্থাগুলির সাথে বেতারভাবে যোগাযোগ করতে দেয়, অ্যাপল টাচ আইডি এবং অ্যাপল ওয়ালেট। \"একটি ডেডিকেটেড চিপ যা এনক্রিপ্ট প্রদানের তথ্য সঞ্চয় করে\" (নিরাপদ উপাদান হিসাবে পরিচিত)।",
"আইফোন ৫এস\nআইফোন ৫এস-এ রয়েছে অ্যাপল এ৭ ও এটিই প্রথম ফোন যেটিতে ৬৪বিট প্রসেসর ব্যবহার করা হয়েছে। ফোনটির অপারেটিং সিস্টেম ও পূর্বে থাকা সফটওয়্যার গুলোকে ৬৪বিট মোডে চলার জন্য নির্মাণ করা হয়েছে যা এর কার্যকারীতা উন্নত করেছে, যদিও তৃতীয় কোন এপের ক্ষেত্রে ৬৪ বিটের সুবিধা নেওয়ার জন্য সেগুলোকে পুঃনির্মিত করতে হবে। অ্যাপল এ৭ নকশা করেছে অ্যাপল ও উৎপাদন করেছে স্যামসাং। এ৭ এর পর আসে এম৭ (মোশন কো প্রসেসর)। এটি আইফোনের প্রধান প্রসেসরের সাহায্য ছাড়াই এক্সেলারোমিটার ও জাইরোস্কোপের তথ্য প্রক্রিয়াজাত করে, যেটি আইওএস ৭ এর নতুন কোরমোশন এপিআই তে থাকে। আইপ্যাড এয়ার ও আইপ্যাড মিনি২ তেও একই এ৭ ও এম৭ ব্যবহৃত হয়েছে, যা আইফোন ৫এস এর সাথে মুক্তি পায়।",
"মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম\nআইওএস ইউজার ইন্টারফেস মাল্টি-স্পর্শ ইশারা ব্যবহার করে সরাসরি ম্যানিপুলেশন উপর নির্ভর করে। ইন্টারফেস নিয়ন্ত্রণ উপাদান স্লাইডার, সুইচ, এবং বোতাম গঠিত। ওএস এর সাথে মিথস্ক্রিয়া যেমন সোয়াইপ, টোকা, চিপ, এবং রিভার্স প্যাচ হিসাবে অঙ্গভঙ্গি রয়েছে, যা iOS এর অপারেটিং সিস্টেম এবং তার মাল্টি-স্পর্শ ইন্টারফেসের প্রেক্ষিতে নির্দিষ্ট সংজ্ঞা রয়েছে। অভ্যন্তরীণ অ্যাকসিলরোমিটারগুলি কিছু অ্যাপ্লিকেশন দ্বারা ডিভাইস কম্পন করার প্রতিক্রিয়া (এক সাধারণ ফলাফল পূর্বাবস্থা কমান্ড) ব্যবহার করা হয় অথবা এটি তিনটি মাত্রা (একটি সাধারণ ফলাফল পোর্ট্রেট এবং আড়াআড়ি মোডের মধ্যে স্যুইচ করছে) মধ্যে ঘোরানো হয়। আইপোতে পুঙ্খানুপুঙ্খ অ্যাক্সেসযোগ্যতা ফাংশন অন্তর্ভুক্ত করার জন্য অ্যাপল উল্লেখযোগ্যভাবে প্রশংসিত হয়েছে, যার ফলে দৃষ্টি ও শ্রবণশক্তির সাথে ব্যবহারকারীরা যথাযথভাবে তার পণ্যগুলি ব্যবহার করতে সক্ষম হয়।",
"মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম\nআইওএস (পূর্বে আইফোন ওএস) হল একটি মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম যা অ্যাপল ইনক। এটি এমন অপারেটিং সিস্টেম যা বর্তমানে আইফোন, আইপ্যাড, এবং আইপড টাচ সহ কোম্পানির মোবাইল ডিভাইসগুলির বেশিরভাগই ক্ষমতাশালী। অ্যানড্রইড পরে বিশ্বব্যাপী এটি দ্বিতীয় জনপ্রিয় মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম। আইফোনের জন্য মূলত ২০১৭ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মুক্ত করা হয়েছিল, আইপ্যাড অন্যান্য অ্যাপল ডিভাইস যেমন আইপড টাচ (সেপ্টেম্বর ২০১৭) এবং আইপ্যাড (জানুয়ারী ২০১০) সমর্থন করার জন্য বাড়ানো হয়েছে। ২০১৭ সালের জানুয়ারী হিসাবে, অ্যাপলের অ্যাপ স্টোরটিতে 2.2 মিলিয়নেরও বেশি iOS অ্যাপ্লিকেশন রয়েছে, যার মধ্যে 1 মিলিয়ন যা iPads এর জন্য নেটিভ। এই মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনগুলি একসঙ্গে 130 বিলিয়ন বার ডাউনলোড হয়েছে।",
"হোয়াটসঅ্যাপ\nহোয়াটসঅ্যাপ ম্যাসেঞ্জার (ডব্লিউএএম) স্মার্টফোনের জন্য জনপ্রিয় একটি ম্যাসেঞ্জার। বিভিন্ন অপারেটিং সিস্টেমের স্মার্টফোনে এই ম্যাসেঞ্জার ব্যবহার করা যায়। শুধু চ্যাটই নয়, এ ম্যাসেঞ্জারের মাধ্যমে ছবি আদান-প্রদান, ভিডিও ও অডিও মিডিয়া বার্তাও আদান-প্রদান করা যায়। ম্যাসেঞ্জারটি অ্যাপলের আইওএস, ব্ল্যাকবেরি, অ্যান্ড্রয়েড, সিমবিয়ান ও উইন্ডোজ ফোনে ব্যবহার করা যায়।\nব্যবহারকারীর ফোনে থাকা ফোন নম্বর তালিকা থেকে হোয়াটসঅ্যাপ স্বয়ংক্রিয়ভাবে নম্বর সিংকক্রোনাইজ করে নেয়। ফলে আলাদা করে আইডি যোগ করার প্রয়োজন হয় না। স্মার্টফোনে বিনা মূল্যে ব্যবহারের উপযোগী ম্যাসেঞ্জারটিতে ব্যক্তিগত হালনাগাদ, ব্যবহারকারী যেখান থেকে চ্যাট করছেন সে এলাকা, গ্রুপ তৈরি, গ্রুপের জন্য আলাদা আইকন তৈরি করা যায়।\nহোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এ বছর অ্যাপ্লিকেশনটিতে ভিডিও কল সুবিধা আসবে এবং ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১০০ কোটিতে পৌঁছাবে।\n২০০৯ সালে ইয়াহুর সাবেক কর্মী ব্রায়ান অ্যাক্টন ও জান কউম মিলে হোয়াটসঅ্যাপ তৈরি করেন। বর্তমানে এ প্রতিষ্ঠানটিতে ৫৫ জন কর্মী রয়েছেন। সম্প্রতি হোয়াটসঅ্যাপ কেনার সময় ফেসবুকের সহ-প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ জানান, প্রতিদিন ১০ লাখ মানুষ হোয়াটসঅ্যাপ ডাউনলোড করছেন এবং এই অ্যাপটির ৪৫ কোটি ব্যবহারকারী রয়েছেন।",
"আইওএস\nআইওএস ৫-এর পূর্বে, বিজ্ঞপ্তি একটি মোডাল উইন্ডোতে প্রদান করা হতো, এবং বাতিল করার পর আর দেখা যেতো না। আইওএস ৫-এ, অ্যাপল প্রথম বিজ্ঞপ্তি কেন্দ্রের সাথে পরিচয় করিয়ে দিলো, যেখানে ব্যবহারকারীরা বিজ্ঞপির ইতিহাস দেখার সুযোগ পায়। বিজ্ঞপ্তি সংশ্লিষ্ট অ্যাপ্লিকেশন খুলতে ব্যবহারকারীকে শুধুমাত্র অই বিজ্ঞপ্ত স্পর্শ করলেই চলতো। বিজ্ঞপ্তি এখন বিশদভাবে ব্যানার আকারে স্ক্রিনের উপরে আসে। ব্যবহারকারী প্রাপ্ত বিজ্ঞপ্তি স্পর্শ করলে সংশ্লিষ্ট অ্যাপ্লিকেশন ওপেন হয়। আইওএস ৮-থেকে তৃতীয় পক্ষের উইজেট বিজ্ঞপ্তি কেন্দ্র থেকে প্রবেশ করা যায়। বন্ধ থাকা অবস্থায় কোন অ্যাপ্লিকেশন নোটিফিকেশন পাঠালে, ওটার আইকনের উপর বিজ্ঞপ্তির সংখ্যা নিয়ে একটি লাল ব্যাজ আসে। তবে এপ্লিকেশন খুললে এ ব্যাজ চলে যায়।"
] | 16 |
চার্লি চ্যাপলিন কত সালে জন্মগ্রহণ করেছিলেন ? | [
"চার্লি চ্যাপলিন\nচার্লস স্পেন্সার চ্যাপলিন ১৮৮৯ সালের ১৬ই এপ্রিল জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা চার্লস চ্যাপলিন সিনিয়র এবং মাতা হান্নাহ চ্যাপলিন (জন্মনাম: হান্নাহ হ্যারিয়েট পেডলিংহাম হিল)। চার্লি চ্যাপলিনের জন্ম সম্পর্কিত বৈধ কোনো প্রমাণপত্র পাওয়া যায়নি, তাই তাঁর জন্ম নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। সংবাদ মাধ্যম তাঁর জন্মস্থান সম্পর্কে নানা সময়ে নানা রকম তথ্য দিয়েছে। কিন্তু চ্যাপলিনের মতে, তিনি দক্ষিণ লন্ডনের ওয়ালওর্থের ইস্ট স্ট্রিটে জন্মগ্রহণ করেছেন। তাঁর পিতামাতা তাঁর জন্মের চার বছর পূর্বে বিয়ে করেন এবং এতে করে চ্যাপলিন সিনিয়র হান্নাহর অবৈধ সন্তান সিডনি জন হিলের বৈধ তত্ত্ববধায়ক হন। তাঁর জন্মের সময় তাঁর মা-বাবা দুজনেই মঞ্চের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন। হান্নাহ ছিলেন একজন মুচির কন্যা। তার মঞ্চ নাম ছিল লিলি হার্লি। তার মঞ্চজীবন স্বল্পকাল স্থায়ী ও অসফল ছিল। অন্যদিকে চ্যাপলিনের পিতা চার্লস সিনিয়র ছিলেন একজন কসাইয়ের পুত্র। তিনি গীতিমঞ্চের জনপ্রিয় গায়ক ছিলেন। যদিও চ্যাপলিনের পিতা-মাতার মধ্যে বিবাহবিচ্ছেদ হয়নি, তারা ১৮৯১ সালের দিকে আলাদা হয়ে যান। পরের বছর হান্নাহ তার তৃতীয় সন্তানের জন্ম দেন। তার তৃতীয় সন্তান জর্জ হুইলার ড্রাইডেনের পিতা ছিলেন গীতিমঞ্চের বিনোদনদাতা লিও ড্রাইডেন। শিশু জর্জকে ছয় মাস বয়সে তার পিতা নিয়ে যায় এবং পরবর্তী ৩০ বছরের মধ্যে চ্যাপলিনের সাথে তার কোন সাক্ষাৎ হয়নি।",
"চার্লস চ্যাপলিন জুনিয়র\nচ্যাপলিন ১৯২৫ সালের ৫ মে ক্যালিফোর্নিয়ার বেভার্লি হিলসে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা চলচ্চিত্র অভিনেতা ও নির্মাতা চার্লি চ্যাপলিন এবং মাতা অভিনেত্রী লিটা গ্রে। তার ছোট ভাই সিডনি আর্ল চ্যাপলিন। তার পিতার মিলড্রেড হ্যারিসের সাথে প্রথম বিবাহের ফলে জন্ম নেওয়া তার প্রথম বৈমাত্রেয় ভাই নরম্যান স্পেন্সার চ্যাপলিন মাত্র তিন দিন বয়সে মারা যায়। তার পিতার উনা ওনিলের সাথে চতুর্থ বিবাহের পর তার অন্যান্য বৈমাত্রেয় ভাইবোনেরা হলেন জেরাল্ডিন, মাইকেল, জোসেফিন, ভিক্টোরিয়া, ইউজিন, জেন, অ্যানেট, ও ক্রিস্টোফার চ্যাপলিন।",
"চার্লি চ্যাপলিন\nচার্লি চ্যাপলিন () নামেই বেশি পরিচিত স্যার চার্লস স্পেনসার চ্যাপলিন জুনিয়র () (১৬ই এপ্রিল, ১৮৮৯ – ২৫শে ডিসেম্বর, ১৯৭৭) ছিলেন একজন ব্রিটিশ চলচ্চিত্র অভিনেতা, পরিচালক ও সুরকার। হলিউড চলচ্চিত্র শিল্পের শুরুর সময় থেকে মধ্যকাল পর্যন্ত তিনি তাঁর অভিনয় ও পরিচালনা দিয়ে সাফল্যের শিখরে আরোহণ করেন। চ্যাপলিনকে বড় পর্দার শ্রেষ্ঠতম মূকাভিনেতা ও কৌতুকাভিনেতাদের একজন বলেও বিবেচনা করা হয়। চলচ্চিত্র শিল্প জগতে চ্যাপলিনের প্রভাব অনস্বীকার্য। ভিক্টোরীয় যুগে তাঁর শৈশব থেকে ১৯৭৭ সালে তাঁর মৃত্যুর এক বছর পূর্ব পর্যন্ত তাঁর কর্মজীবনের ব্যাপ্তি প্রায় ৭৫ বছর এবং এই সময়ে তাঁর বর্ণময় ব্যক্তিজীবন ও সমাজজীবনে খ্যাতি ও বিতর্ক, দুইই নিম্ন থেকে শীর্ষবিন্দু ছুঁয়ে গেছে। ।",
"সিডনি আর্ল চ্যাপলিন\nচ্যাপলিন ১৯২৬ সালের ৩০ মার্চ ক্যালিফোর্নিয়ার লস অ্যাঞ্জেলেসে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা চলচ্চিত্র অভিনেতা ও নির্মাতা চার্লি চ্যাপলিন এবং মাতা অভিনেত্রী লিটা গ্রে। সিডনির নাম রাখা হয় তার চাচা সিডনি চ্যাপলিনের নামানুসারে। সিডনির বড় ভাই চার্লস চ্যাপলিন জুনিয়র। চার্লস জন্মের ১০ মাসের মধ্যে তার জন্ম হয় এবং তিনি পাঁচ সপ্তাহ পূর্বে ভূমিষ্ঠ হন। তার জন্মের এক বছরের মধ্যে তার পিতামাতা বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। পরবর্তীতে তার পিতার উনা ওনিলের সাথে চতুর্থ বিবাহের ফলে তার আরও আট বৈমাত্রেয় ভাইবোন জন্মগ্রহণ করে।",
"ভিক্টোরিয়া চ্যাপলিন\nচ্যাপলিন ১৯৫১ সালের ১৯ মে ক্যালিফোর্নিয়ার সান্তা মনিকায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি চার্লি চ্যাপলিন ছিলেন একজন অভিনেতা ও চলচ্চিত্র পরিচালক এবং মাতা উনা ওনিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম নিলেও তিনি বেড়ে ওঠেন সুইজারল্যান্ডে। কিশোর বয়সে তিনি তার পিতার চলচ্চিত্র \"আ কাউন্টেস ফ্রম হংকং\" (১৯৬৬) এ অতিরিক্ত শিল্পী হিসেবে কাজ করেন। তার পিতা তাকে ১৯৬৯ সালে তার পরিকল্পিত \"দ্য ফ্রিক\" চলচ্চিত্রে আমাজনীয় বনাঞ্চলের এক পাখাওয়ালা তরুণী চরিত্রে প্রধান ভূমিকার জন্য নির্বাচন করেছিলেন। কিন্তু চ্যাপলিনের শারীরিক অসুস্থতা এবং ভিক্টোরিয়া ফরাসি অভিনেতা জঁ-বাপতিস্তে থিয়েরির সাথে পালিয়ে কারণে চলচ্চিত্র নির্মিত হয় নি।",
"চার্লস চ্যাপলিন সিনিয়র\nচ্যাপলিন ১৮৬৩ সালের ১৮ মার্চ লন্ডনের মেরিলবোনে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা স্পেন্সার চ্যাপলিন (১৯৩৪/৫-১৮৯৭) এবং মাতা এলেন এলিজাবেথ স্মিথ (১৮৩৮-১৮৭৩)। তিনি তার পিতামাতার তৃতীয় সন্তান। তার অন্যান্য ভাইবোনেরা হলেন স্পেন্সার জুনিয়র, হেলেন, ব্লেঞ্চ, আলবার্ট ও হ্যারি। চ্যাপলিনের পিতা ছিলেন একজন কসাই, ফলে তিনি শ্রমিক শ্রেণীর শিশুদের মতই বেড়ে ওঠেন। চ্যাপলিনের শৈশব সম্পর্কে খুব কম জানা যায়। ১৮৭১ ও ১৮৮১ সালের যুক্তরাজ্যের আদমশুমারি থেকে জানা যায় যে তার পিতামাতা এবং পরিবার নটিং হিলের রিলিংটনে বাস করতেন। এই স্থানটি দশক পরে জন ক্রিস্টির হত্যাকাণ্ডের জন্য পরিচিতি লাভ করে।"
] | [
"জেরাল্ডিন চ্যাপলিন\nজেরাল্ডিন লেই চ্যাপলিন ১৯৪৪ সালের ৩১ জুলাই ক্যালিফোর্নিয়ার সান্তা মনিকায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি পিতা অভিনেতা ও চলচ্চিত্র নির্মাতা চার্লি চ্যাপলিন এবং মাতা উনা ওনিল। তিনি চার্লির চতুর্থ সন্তান এবং উনা ওনিলের প্রথম সন্তান। উনা চার্লির চতুর্থ স্ত্রী, যাকে তিনি ১৯৪৩ সালে বিয়ে করেন। তখন চার্লির বয়স ছিল পঞ্চাশোর্ধ্ব এবং উনার বয়স ছিল ১৮। তার পিতামহ ছিলেন চার্লস চ্যাপলিন সিনিয়র এবং পিতামহী হান্নাহ চ্যাপলিন (হান্নাহ হ্যারিয়েট পেডলিংহাম হিল)। তারা দুজনে ইংরেজ গীতিমঞ্চের গায়ক-গায়িকা ছিলেন। তার মাতামহ ছিলেন নোবেল ও পুলিৎজার পুরস্কার বিজয়ী মার্কিন লেখক ইউজিন ওনিল ও মাতামহী ছিলেন ইংরেজ বংশোদ্ভূত মার্কিন লেখক আইনেস বোল্টন।",
"জেরাল্ডিন চ্যাপলিন\nজেরাল্ডিন লেই চ্যাপলিন (ইংরেজি: Geraldine Leigh Chaplin; জন্ম: ৩১ জুলাই, ১৯৪৪) হলেন ইংরেজি, ফরাসি এবং স্পেনীয় ভাষার বিশিষ্ট অভিনেত্রী। তিনি প্রখ্যাত অভিনেতা ও চলচ্চিত্র নির্মাতা চার্লি চ্যাপলিনের চতুর্থ সন্তান, এবং তার চতুর্থ স্ত্রী উনা ওনিলের আট সন্তানের প্রথম সন্তান। নৃত্য ও মডেলিং দিয়ে কর্মজীবন শুরু করে তিনি অভিনয়ে মনোযোগী হন। তিনি মার্কিন চলচ্চিত্রে আত্মপ্রকাশ করেন ডেভিড লিন পরিচালিত \"ডক্টর ঝিভাগো\" (১৯৬৫) দিয়ে, এবং এই চলচ্চিত্রে টোনিয়া ভূমিকায় অভিনয়ের জন্য তিনি গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। তার ব্রডওয়ে অভিনয়ের অভিষেক হয় লিলিয়ান হেলম্যান নির্দেশিত \"দ্য লিটল ফক্সেস\" (১৯৬৭) দিয়ে। ১৯৭৫ সালে রবার্ট অ্যাল্টম্যান পরিচালিত \"ন্যাশভিল\" ছবিতে অভিনয়ের জন্য তিনি তার দ্বিতীয় গোল্ডেন গ্লোবের মনোনয়ন লাভ করেন। পরের বছর তিনি \"ওয়েলকাম টু এল.এ.\" চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য তার প্রথম বাফটা পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। পরবর্তীতে তিনি \"বাফালো বিল অ্যান্ড দ্য ইন্ডিয়ান্স, অর সিটিং বুল্স হিস্ট্রি লেসন\" (১৯৭৬), \"রোজল্যান্ড\" (১৯৭৭), \"রেমেম্বার মাই নেম\" (১৯৭৮) ও \"অ্যা ওয়েডিং\" (১৯৭৮) চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। ১৯৯২ সালে তিনি রিচার্ড অ্যাটেনব্রো পরিচালিত চার্লি চ্যাপলিনের জীবনীমূলক \"চ্যাপলিন\" চলচ্চিত্রে তার পিতামহী হান্নাহ চ্যাপলিনের ভূমিকায় অভিনয় করেন এবং তার তৃতীয় গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। পরবর্তীতে তিনি \"দি এজ অব ইনোসেন্স\" (১৯৯৩), \"জেন আইয়ার\" (১৯৯৬), \"মাদার তেরেসা: ইন দ্য নেম অব গড্স পুওর\" (১৯৯৭) এবং \"দ্য উল্ফম্যান\" (২০১০)।",
"স্পেন্সার ড্রাইডেন\nস্পেন্সার ড্রাইডেন ১৯৩৮ সালের ৭ই এপ্রিল নিউ ইয়র্ক সিটিতে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা হুইলার ড্রাইডেন (১৮৯২-১৯৫৭) ছিলেন একজন ইংরেজ বংশোদ্ভূত মার্কিন অভিনেতা ও পরিচালক এবং বিখ্যাত কৌতুকাভিনেতা, চলচ্চিত্র অভিনেতা ও পরিচালক চার্লি চ্যাপলিনের বৈমাত্রেয় ভাই। তার মাতা অ্যালিস চ্যাপেল (১৯১১-২০০৫) ছিলেন অ্যানা পাভলভাস ড্যান্স কোম্পানির বেলে নৃত্যশিল্পী ও রেডিও সিটি বেলে কোম্পানির সদস্য। ড্রাইডেন তার বিখ্যাত চাচার নাম গোপন রাখতেন, কারণ তিনি চাইতেন না কেউ যাতে তার চাচার সুখ্যাতির কথা বিবেচনা করে তাকে বিচার করেন।",
"চার্লি চ্যাপলিন\n\"দ্য গোল্ড রাশ\" চলচ্চিত্র নির্মাণকালে চ্যাপলিন দ্বিতীয় বিয়ে করেন। চ্যাপলিন যখন লিটা গ্রের সাথে পরিচিত হন তখন লিটা ছিলেন কিশোরী। তাকে মূলত এই চলচ্চিত্রের অভিনেত্রী হিসেবে নির্বাচন করা হয়েছিল, কিন্তু তার হঠাৎ অন্তঃসত্ত্বা হয়ে যাওয়ায় তাকে বিয়ে করতে বাধ্য হন। লিটার বয়স ছিল ১৬ এবং চ্যাপলিনের ৩৫, ক্যালিফোর্নিয়া আইনের অধীনে চ্যাপলিনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দাখিল হতে পারত। ১৯২৪ সালের ২৫শে নভেম্বর মেক্সিকোতে তিনি বিয়ের আয়োজন করেন। তাদের প্রথম সন্তান চার্লস চ্যাপলিন জুনিয়র ১৯২৫ সালের ৫ই মে জন্মগ্রহণ করে এবং এরপর ১৯২৬ সালের ৩০শে মার্চ সিডনি আর্ল চ্যাপলিন জন্মগ্রহণ করেন।"
] | 34 |
ঘানার পূর্ব নাম কি ছিল ? | [
"ঘানা\nঘানা বা গানা () পশ্চিম আফ্রিকার একটি রাষ্ট্র। ১৯৫৭ সাল পর্যন্ত এটি গোল্ড কোস্ট নামের একটি ব্রিটিশ উপনিবেশ ছিল। ঐ বছর এটি সাহারা-নিম্ন আফ্রিকান দেশগুলির মধ্যে প্রথম দেশ হিসেবে ইউরোপীয় ঔপনিবেশিক শাসন থেকে স্বাধীনতা লাভ করে। আধুনিক ঘানার কয়েকশত মাইল উত্তর-পশ্চিমে ঊর্ধ্ব নাইজার নদীর তীরে অবস্থিত মধ্যযুগীয় সাম্রাজ্য ঘানার নামে দেশটির নামকরণ করা হয়। স্বাধীনতার পর আফ্রিকান বাকী দেশগুলির স্বাধীনতার জন্য ঘানা নেতৃত্ব দেয়।",
"ঘানা\nঘানা শব্দের অর্থ \"যোদ্ধা রাজা\" মধ্যযুগীয় ঘানা সাম্রাজ্য থেকে এ নামের উৎপত্তি। বর্তমান ঘানা থেকে উত্তর ও পশ্চিম দিকে অবস্থান ছিল \"ঘানা সাম্রাজ্য\"-এর। ১৯৫৭ সালে ব্রিটিশ কলোনী \"গোল্ড কোস্ট\" স্বাধীনতা লাভ করে। স্বাধীনতার ছয়মাসের ১৯৫৭ সালে গোল্ড কোস্টের নাম \"ঘানা\" হিসেবে রাখা হয়।"
] | [
"গামা পালোয়ান\nগোলাম মুহাম্মদের পাঞ্জাবি ডাকনাম ছিল \"গামা\"। একটি মুসলিম গুরজার পরিবারে তিনি জন্ম নেন। খ্যাতনামা কুস্তিগির মুহাম্মদ আজিজ তার পিতা। মধ্য প্রদেশের দেশীয় রাজ্য দাতিয়ার শাসক মহারাজা ভবানি সিং তরুণ কুস্তিগির ও তার ভাই ইমাম বখশের পৃষ্ঠপোষকতা করেন। ১০ বছর বয়সে যোধপুরে অনুষ্ঠিত একটি প্রতিযোগিতায় প্রবেশ করার মাধ্যমে তিনি প্রথম নজরে আসেন। এই প্রতিযোগিতায় চারশতের বেশি কুস্তিগির অংশ নেয়। তরুণ গামা শেষে টিকে থাকা পনেরজন কুস্তিগিরের অন্যতম ছিলেন। এসময় যোধপুরের মহারাজা অসাধারণ প্রাণশক্তি ও জ্যেষ্ঠ কুস্তিগিরদের সামনে তার দক্ষতার গামাকে বিজয়ী ঘোষণা করেন।",
"হাকালুকি হাওর\nজনশ্রুতিমতে, বহু বছর আগে ত্রিপুরার মহারাজা ওমর মানিক্যের সেনাবাহিনীর ভয়ে বড়লেখার কুকি দলপতি হাঙ্গর সিং জঙ্গলপূর্ণ ও কর্দমাক্ত এক বিস্তীর্ণ এলাকায় এমনভাবে \"লুকি\" দেয় বা লুকিয়ে যায় যে, কালক্রমে ঐ এলাকার নাম হয় \"হাঙ্গর লুকি\", ধীরে ধীরে তা \"হাকালুকি\"-তে পর্যবসিত হয়। আরেকটি জনশ্রুতি অনুযায়ী প্রায় দুই হাজার বছর আগে প্রচন্ড এক ভূমিকম্পে \"আকা\" নামে এক রাজা ও তাঁর রাজত্ব মাটির নিচে সম্পূর্ণ তলিয়ে যায়। কালক্রমে এই তলিয়ে যাওয়া নিম্নভূমির নাম হয় \"আকালুকি\" বা হাকালুকি। আরো প্রচলিত যে, এক সময় বড়লেখা থানার পশ্চিমাংশে \"হেংকেল\" নামে একটি উপজাতি বাস করতো। পরবর্তিতে এই \"হেংকেলুকি\" হাকালুকি নাম ধারণ করে। এও প্রচলিত যে, হাকালুকি হাওরের কাছাকাছি একসময় বাস করতো কুকি, নাগা উপজাতিরা। তাঁদের নিজস্ব উপজাতীয় ভাষায় এই হাওরের নামকরণ করা হয় \"হাকালুকি\", যার অর্থ 'লুকানো সম্পদ'।",
"কলু\nতৃতীয় ধরনের ঘানিটি টানা হয় বলদ দিয়ে। এর নামও ঘানা। এর উপরের অংশে কাঠের তৈরি জামবাটির মতো একটা বড় অংশ থাকে, তার নাম হলো পিঁড়ি। পেষণ দন্ডের নাম জাঠ। এর উপরের অংশে একটা বাঁকা কাঠখন্ড আটকানো থাকে, তার নাম মাকড়ি। এ মাকড়ির পিছনে ছিদ্র থাকে, তার ভিতর দিয়ে দড়ি গলিয়ে মত্থম (মতথম) খুটার সঙ্গে আটকানো থাকে। এ মতথম খুঁটা পাটার উপর খাড়াভাবে রাখা হয়। পাটার যে প্রান্ত ঘানার গায়ে ঘষে যায় সেখানে গোলোই নামে একটি কাঠের টুকরা জোড়া লাগানো থাকে। ঘানার যে স্থান দিয়ে তেল বের হয় তার নাম পাতনালি। এর নিচের পাত্রে তেল জমে। ঘানির মধ্যে বীজ নেড়েচেড়ে দেওয়ার জন্য সাঁকনি নামক একটি ঘূর্ণন কাঠি থাকে। গরু জুতবার জন্য থাকে জোয়াল। গরুর চোখে চামড়ার ঠুলি থাকে। জোয়াল পাটার সঙ্গে আড়াআড়িভাবে একটা বাঁকা কাঠি দ্বারা যুক্ত, তার নাম কাইনুড়ি। এসব ঘানির কাঠ শক্ত ও মজবুত হতে হয় এবং এ উদ্দেশ্যে সাধারণত শালকাঠ ব্যবহূত হয়।",
"পাগলা কানাই\nপাগলা কানাই ১৮০৯ সালে তৎকালীন যশোর জেলার ঝিনাইদহ মহকুমার, বর্তমান ঝিনাইদহ জেলার, লেবুতলা গ্রামের এক দরিদ্র কৃষক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। কিন্তু তাঁর জীবন কেটেছে বেড়বাড়ি বোনের বাড়িতে। বাবার নাম কুড়ন শেখ, মায়ের নাম মোমেনা বিবি। দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে কানাই সবার বড়। ভাইয়ের নাম উজ্জ্বল শেখ, বোন স্বরনারী। পাঠশালায় পড়াকালে তাঁর বাবা কুড়ন শেখ মারা যান। পিতৃহারা হয়ে কানাই ভবঘুরে হয়ে যান। জীবনের তাগিদে মোমেনা বিবি কোনো উপায়ান্তর না দেখে ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার চেউনে ভাটপাড়া গ্রামে এক আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নেন। সেখানে কিছুদিনের মধ্যে তিনিও মারা যান। মা হারিয়ে কানাই ঝিনাইদহ জেলার হরিণাকুণ্ড উপজেলার বলরামপুরে ভরস মণ্ডলের বাড়িতে রাখালির কাজ নেন। বোন স্বরনারী দুই ভাইকে সেখান থেকে নিজের আশ্রয়ে শ্বশুরবাড়ি পার্শ্ববর্তী মাগুরা জেলায় বেড়াতে নিয়ে আসেন। বোনের শ্বশুরবাড়ির অবস্থা ভালো হওয়াতে কানাইয়ের গান চর্চার রাস্তা আরও সহজ হয়। কানাই বোনের বাড়ির গরুর পাল চরাতেন আর গান বাঁধতেন, তাতে সুর দিতেন। ছোটবেলা থেকেই পাগলাকানাই দুরন্ত প্রকৃতির, পাগলাটে স্বভাবের এবং আধ্যাত্ম প্রেমে উদ্বুদ্ধ ছিলেন। এ খেয়ালীপনার জন্যে শৈশবে স্নেহবশতঃ লোকে তাঁর নামের সাথে \"পাগলা' অভিধাটি (উপনাম) যুক্ত করে। তাঁর কর্মকীর্তির সাথে এ পাগলা উপাধিটি অভিন্ন সূত্রে গ্রথিত হয়েছে।",
"ঘানা\nপ্রগৌতিহাসিক যুগের নির্দশন প্রমান করে প্রাচীন ঘানাতে ব্রোঞ্জ যুগ থেকে মানুষের বসবাস ছিল। যদিও এগারো শতক পর্যন্ত আধুনিক ঘানার দখলকৃত ছিল। বর্তমান ঘানাতে ১৬শতকে বর্তমান অধিবাসীদের আবির্ভাব ঘটে। এগারো শতকের প্রথমদিকে \"আকান\" জনগোষ্ঠী \"বুনুমান\" নামের জনবসতি গড়ে তোলে। এই অঞ্চলেই ষোল শতকে \"গা\" ও \"দাগোমবা\" নামের দুটি ভিন্ন রাষ্ট্র গড়ে উঠেছিল।",
"অ্যাঞ্জেলিনা জোলি\nছয়মাস বয়সী জাহারা মার্লেকে জোলি দত্তক নেন ৬ জুলাই ২০০৫। তার জন্ম হয়েছিলো ৮ জানুয়ারি ২০০৫। জাহারার পূর্ব নাম ছিলো ‘ইয়েম্সর্যাচ’, যা তাঁর জন্মদাত্রী মায়ের রাখা, কিন্তু এতিমাখানায় এসে তাঁর বৈধ নাম হয় টিনা আদম। আদ্দিস আবাবার ওয়াইড হরাইজন্স ফর চিলড্রেন এতিমখানা থেকে জোলি তাঁকে দত্তক নেন। ২০০৭ সালে, তাঁকে যুক্তরাষ্ট্রে নেওয়ার কিছুদিনের মধ্যে সে অপুষ্টি ও পানিশূণ্যতায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়। পরবর্তীতে মিডিয়ায় খবর প্রচারিত হয় যে, জাহারার জন্মদাত্রী মা মেন্টেওয়ারিব ডোয়াইট এখনো জীবিত, এবং তিনি তাঁর মেয়েকে নিজের কাছে ফিরে পেতে চান। অবশ্য জোলি এই খবর অস্বীকার করে বলেন, জাহারার ‘খুবই সৌভাগ্য’ যে, সে জোলির কাছে দত্তক হয়ে এসেছে।",
"খাজা নিজাম উদ্দিন ভূঁইয়া\nখাজা নিজামউদ্দিন ভূঁইয়ার জন্ম ১৯৪৯ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়ার মালাপাড়া গ্রামে। তাঁর বাবার নাম আব্দুল লতিফ ভূঁইয়া এবং মায়ের নাম তাবেন্দা আক্তার। ছয় ভাই এবং তিন বোনের মধ্যে নিজাম ছিলেন দ্বিতীয়। তিনি অবিবাহিত ছিলেন। তিনি কবি হিসেবে পরিচিত ছিলেন।তাঁর বাবা সরকারি কর্মকর্তা হওয়ায় নিজামউদ্দিন ভূঁইয়ার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা পর্ব দেশের বিভিন্ন জেলায় সম্পন্ন হয়। পড়াশোনার পাশাপাশি তিনি ভালো কবিতা লিখতেন, ভালো গানও করতেন। সেই সঙ্গে গিটার বাদনেও তিনি ছিলেন সিদ্ধহস্ত। রবীন্দ্রসঙ্গীত বিশুদ্ধভাবে গাইতে পারার কারণে তাঁর বেশ পরিচিতি ছিল। সুস্বাস্থ্যের অধিকারী নিজামউদ্দিন খেলাধুলায়ও ছিলেন সমান পারদর্শী।\n১৯৬৪ সালে নিজামউদ্দিন চট্টগ্রাম জেএস সেনস ইনস্টিটিউট থেকে এসএসসি, ১৯৬৬ সালে এইচএসসি, ১৯৬৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগ থেকে স্নাতক পাস এবং ১৯৭০ সালে স্নাতকোত্তর পরীক্ষা দেন। এরপর ১৯৭১ সালে পড়াশুনা করছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্সটিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (আইবিএ)-তে। মাস্টার অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে (এমবিএ) পড়ার সময় তিনি মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন।",
"কোয়ামে নক্রুমা\n১৯৪৫ সালে তিনি পঞ্চম প্যান-আফ্রিকান সম্মেলনের যুগ্ম-সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৪৭ সালে ইউনাইটেড গোল্ড কোস্ট কনভেশন-এর সেক্রেটারি হন। ১৯৪৯ সালে গড়ে তুলেন কনভেশন পিপলস পার্টি নামে একটি রাজনৈতিক দল। ১৯৫২ সালে তিনি দেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। ১৯৫৬ সালে তাঁর রাজনৈতিক দল নির্বাচনে বিজয়ী হলে গোল্ড কোস্ট স্বাধীনতা লাভ করে এবং দেশটির নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় ঘানা। ১৯৬০ সাল পর্যন্ত তিনি দেশটির প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন, এবং একই বছরে তিনি দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। একদলীয় শাসনব্যবস্থা কায়েম ও ভিন্ন মতাবলম্বীদের কঠোর হাতে দমন করার কারণে তাঁর বিরুদ্ধে অসন্তোষ মাথা চাড়া দিয়ে উঠে। ১৯৬৬ সালে ঘানার শাসন ক্ষমতা দখল করে সামরিক বাহিনী। এই সময় তিনি দেশের বাহিরে ছিলেন।"
] | 38 |
তরঙ্গদৈর্ঘ্য অনুযায়ী কোন বর্ণের স্থান দ্বিতীয় স্থানে ? | [
"বর্ণের দৃশ্যমানতা\nবর্ণকে উচ্চ থেকে নিম্ন তরঙ্গদৈর্ঘ্যে (বা নিম্ন থেকে উচ্চ কম্পাঙ্কে) অনুযায়ি সাজালে লাল, কমলা, হলুদ, সবুজ, নীল, ও বেগুনী এই ক্রম পাওয়া যায়।তরঙ্গদৈর্ঘ্যে সামান্য পার্থক্যও বর্ণ পাল্টে দিতে পারে; যেমন সবুজাভ নীল ও হলুদের মধ্যে তরঙ্গদৈর্ঘ্যের পার্থক্য হল ১ ন্যানমিটার। যদিও মানুষের চোখ এই পার্থক্য অনেক বড় পার্থক্যেই ধরতে পারে, যখন এই বর্ণালীগত রঙকে একসাথে মেশানো হয়, তখন ক্রোমাটিসিটি অনেক উচ্চ সংখ্যার হতে পারে।"
] | [
"বর্ণের দৃশ্যমানতা\nকোনগুলো তাদের বর্ণালীগত সংবেদনশীলতার চূড়ার তরঙ্গদৈর্ঘ্য অনুযায়ী বিন্যস্ত থাকেঃ ছোট (S), মাঝারী (M) ও বড় (L) কোন। এই ৩ টি ধরন নির্দিষ্ট বর্ণ অনুযায়ী মিলেনা, যেটা আমরা জেনে এসেছি। এর বদলে, বর্ন প্রত্যক্ষকরন এসব কোষের রেটিনায় পরার ফল হতে শুরু হয় এবং মস্তিষ্কের ভিজুয়াল কর্টেক্স ও এসসোসিয়েটিভ এলাকায় শেষ হয়।",
"বেগুনী\nবেগুনী হল নীলা, ল্যাভেন্ডার আর বিউটিবেরিসের বর্ণ। এর নাম করা হয়েছে বেগুনী ফুলের নাম অনুযায়ী। বেগুনী দৃশ্যমান বর্ণালীর সর্বশেষ বর্ণ যা নীল এবং অদৃশ্য অতিবেগুনীর মাঝামাঝি অবস্থান করে।এর প্রাধান্যপূর্ণ তরঙ্গদৈর্ঘ্য হল ৩৮০-৪৫০ ন্যানোমিটার (কিছু নির্দিষ্ট অবস্থায় রক্তবর্নেরও ৩১০ ন্যানোমিটার তরঙ্গদৈর্ঘ্য দেখা যায়)। যে আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য বেগুনী অপেক্ষা ছোট কিন্তু রঞ্জনরশ্মি এবং গামারশ্মি অপেক্ষা বড় তাকে অতিবেগুনী বলে।ইতিহাসে চিত্রকরেরা যে বর্ণচাকতি ব্যবহার করত,বেগুনী তাতে নীল এবং রক্তবর্ণের মাঝামাঝি ছিল।কম্পিউটারের মনিটর এবং টেলিভিশন সেটে যা বেগুনীর মত দেখতে,তা আরজিবি বর্ণ মডেল দ্বারা নির্মিত, যা লাল এবং নীলের সমন্বয়ে তৈরি হয়। এখানে নীল লালের দ্বিগুণ উজ্জ্বল থাকে। কিন্তু এটি সত্যিকার বেগুনী হয়না, এটি কেবল নীলের চেয়ে ছোট একটি তরঙ্গদৈর্ঘ্য এর বদলে কয়েকটি উচ্চ তরঙ্গদৈর্ঘ্য এর যোগফল হয়।",
"আন্তর্জাতিক ধ্বনিমূলক বর্ণমালা\nফুসফুসনির্গত ব্যঞ্জনধ্বনি ছকে অনুভূমিকভাবে ব্যঞ্জনধ্বনির উচ্চারণের স্থান, অর্থাৎ শ্বাসবায়ু বাগ্যন্ত্রের যে অংশে বাধা পায়, এবং উল্লম্বভাবে বাধার প্রকৃতি অনুযায়ী সাজান।\nউচ্চারণ স্থান অনুযায়ী ছকের শ্রেণীবিভাগগুলি হল উভয়ৌষ্ঠ্য, দন্তৌষ্ঠ্য, দন্ত্য, দন্তমূলীয়, পশ্চাদ্দন্তমূলীয়, মূর্ধন্য, তালব্য, পশ্চাত্তালব্য, অলিজিহ্ব্য, গলনালীয়, কন্ঠনালীয়।\nবাধার প্রকৃতি অনুযায়ী ছকের শ্রেণীবিভাগগুলি হল স্পর্শ, নাসিক্য, কম্পিত, তাড়িত, উষ্ম, পার্শ্বিক উষ্ম, নৈকট্যক এবং পার্শ্বিক নৈকট্যক।",
"তড়িৎচৌম্বক বর্ণালী\nতড়িৎচৌম্বক বর্ণালীর দৃশ্যমান আলোক তরঙ্গের কম্পাঙ্কের বিস্তার মোটামুটি ৪০০ টেরা-হার্জ থেকে ৭৯০ পর্যন্ত ( তরঙ্গদৈর্ঘ্য ৩৮০ ন্যানোমিটার থেকে ৭৬০ ন্যানোমিটার ) । অনেক সময় , যখন মানুষের দৃষ্টির ক্ষেত্র মুখ্য আলোচ্য বিষয় নয় তখন অন্য তরঙ্গদৈর্ঘ্যকে , বিশেষতঃ সন্নিকট অবলোহিত তরঙ্গ ( ৭৬০ ন্যানোমিটারের বেশী ) এবং অতিবেগুনী রশ্মি (৩৮০ ন্যানোমিটারের কম ) - কেও আলোক তরঙ্গ বলে বর্ণনা করা হয়ে থাকে । দৃশ্যমান আলোক বর্ণালির বিভিন্ন তরঙ্গদৈর্ঘ্যের সঠিক সমবায় হল সাদা আলো । সাদা আলো প্রিজমের মধ্য দিয়ে যাওয়ার সময় ৩৮০ ন্যানোমিটার থেকে ৭৬০ ন্যানোমিটারের মধ্যে বিভিন্ন তরঙ্গদৈর্ঘ্যের বর্ণে বিভক্ত হয়ে পরে ।",
"বর্ণের দৃশ্যমানতা\nনিম্ন আলোর ক্ষেত্রে দৃষ্টি স্কটপিক হয়। তখন আলো রেটিনার রড কোষ এ ধরা পড়ে।এই কোসগুলো সাধারনত ৫০০ ন্যানমিটার তরঙ্গদৈর্ঘ্যের আলোও ধরতে পারে। উচ্চ আলোর ক্ষেত্রে দৃষ্টি ফোটোপিক হয়। ্তখন আলো রেটিনার কোন কোষ এ ধরা পরে, যা বর্ন দেখার জন্য দায়ী। কোনগুলোও নির্দিষ্ট তরঙ্গদৈর্ঘ্য পর্যন্ত দেখতে পারে, তবে সবচেয়ে বেশী সেন্সেটিভ হয় ৫৫৫ ন্যানোমিটার এর তরঙ্গের দিকে। এই দুটির এলাকার মধ্যে মেসপিক দৃষ্টি কাজ করে এবং সেখানে রদ ও কোন দুটিই সিগন্যাল পাঠায়। এই নিম্ন আলো থেক উচ্চ আলোর প্রত্যক্ষদর্শন একটি পার্থক্যের জন্ম দেয় যাকে পার্কিনজি এফেক্ট বলে।",
"বর্ণের দৃশ্যমানতা\nআলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্যের একটি সীমা এসব রিসেপ্টরের ধরনগুলোকে বিভিন্ন কোন অনুযায়ী স্টিমুলেট করে। উদাহরনস্বরুপ হলুদাভ সবুজ L ও M উভয় কোনকেই সমানভাবে স্টিমুলেট করে, কিন্তু S কোনকে হালকাভাবে স্টিমুলেট করে। আবার লাল আলো L কোনকে গাঢ়ভাবে স্টিমুলেট করে, কিন্ত M কে হালকাভাবে করে। S কে বলতে গেলে স্টিমুলেট করেই না। আমাদের মস্তিষ্ক এসব তথ্য রিসেপ্টর থেকে জোগাড় করে যাতে বিভিন্ন তরঙ্গদৈর্ঘ্যের বিভিন্ন আলোকে দেখা যেতে পারে।",
"বর্ণের দৃশ্যমানতা\nযেহেতু প্রত্যেক তরঙ্গদৈর্ঘ্য w তিনটি কোন কোষকে একটি জানা সীমায় স্টিমুলেট করে, সেহেতু এই তিনটি সীমাকে তাদের কোন কোশের নাম S, M, L অনুযায়ী ৩টি ফাংশান যথাঃ s(w), m(w), l(w) নাম দেয়া যায়।",
"বঙ্গাব্দ\nভারতের সমস্ত বঙ্গভাষী অধ্যুষিত অঞ্চলে সনাতন নিরয়ণ (জ্যোর্তিমণ্ডলে তারার অবস্থানের প্রেক্ষিতে গণিত, সূর্যকে প্রদক্ষিণ করতে পৃথিবীর প্রকৃত সময়ই নিরয়ণ বর্ষপঞ্জী। অর্থাৎ নিরয়ণ বর্ষপঞ্জীর দৈর্ঘ্য হল ৩৬৫.২৫৬৩৬০২ সৌর দিবস যা ক্রান্তীয় সায়ন বর্ষপঞ্জি থেকে ২০ মিনিট ২৪ সেকেন্ড দীর্ঘ।) বর্ষপঞ্জি ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এই বর্ষপঞ্জী ক্রান্তীয় বা সায়ন বর্ষপঞ্জী (যেমন সংস্কারকৃত বাংলা সন এবং গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জী) থেকে ভিন্ন। এই উভয় ধরণের বর্ষপঞ্জির মধ্যে সময়ের যে গাণিতিক পার্থক্য রয়েছে তার কারণেই বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের নতুন বর্ষ শুরুতে দিনের পার্থক্য হয়। এই সময়ের পার্থক্যের কারণে নিরয়ণ সৌর বর্ষপঞ্জিতে মাসের দৈর্ঘ্যে পার্থক্য রয়েছে।",
"তড়িৎচৌম্বক বর্ণালী\nবর্ণালিবীক্ষণ যন্ত্রের সাহায্যে দৃশ্যমান আলো তরঙ্গ (তরঙ্গদৈর্ঘ্য ৪০০ - ৭০০ ন্যানোমিটার) ছাড়াও আরো বিস্তীর্ণ অংশের তড়িৎচৌম্বক বর্ণালী শনাক্ত করা সম্ভব । একটি সাধারণ গবেষণাগারের বর্ণালিবীক্ষণ যন্ত্র ২ থেকে ২৫০০ ন্যানোমিটার তরঙ্গদৈর্ঘ্য পরিমাপ করতে সক্ষম । এই ধরণের যন্ত্রের সাহায্যে বিভিন্ন পদার্থ, গ্যাস এমন কি জ্যোতিষ্কদের ভৌত ধর্ম সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানা যায় । অনেক হাইড্রোজেন পরমাণু ২১.১২ সেন্টিমিটার তরঙ্গদৈর্ঘ্যএর বেতার তরঙ্গ বিকর্ণ করে । আবার অনেক নাক্ষত্রিক নীহারিকা ৩০ হার্জ ও তার কম কম্পাঙ্কের তরঙ্গ সৃষ্টি করে , যা তাদের পর্যবেক্ষ্ণ করার ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ । এছাড়াও অনেক মহাজাগতিক বস্তু থেকে ২.৯ × ১০ হার্জ কম্পাঙ্কের তরঙ্গ শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে।"
] | 16 |
অবিভক্ত স্বাধীন বাংলা কবে দ্বিখণ্ডিত হয় ? | [
"অবিভক্ত স্বাধীন বাংলা\n১৯৪৭-এর ফেব্রুয়ারিতে তৎকালীন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী এটলি-র ঘোষণার পর ভারতের স্বাধীনতার বিষয়টি দৃশ্যত নিকটতর হয়ে ওঠায় এবং ওই ঘোষণার পর পাঞ্জাব ও বাংলা প্রদেশকে বিভক্ত করার পক্ষে ভারতের জাতীয় কংগ্রেসে যুক্তিতর্কের আলোকে সোহরাওয়ার্দীসহ বাংলার অল্পসংখ্যক রাজনীতিক এক সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে বাংলা প্রদেশের সংহতি রক্ষার চিন্তা করেন। তারা বাংলাকে তার নিজস্ব সংবিধানসহ একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ রাষ্ট্র গঠন করার প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করেন। বাংলার তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী প্রদেশে একটি কোয়ালিশন সরকার গঠনের বিষয়েও বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেন। তিনি আরও জোর দিয়ে উল্লেখ করেন যে, বাংলা বাঙালিদের ও এ বাংলা অবিভাজ্য। এ প্রদেশের একটি অংশ অন্যটির ওপর নির্ভরশীল, আর তাই এখানকার সকলেই এর প্রশাসনে অংশীদার হওয়ার অধিকারী। তিনি এ আশা পোষণ করেন যে, বাংলাকে এক গৌরবময় দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে সেখানকার সকল শ্রেণীর মানুষ সম্প্রীতিতে বাস ও কাজ করতে দৃঢ়সংকল্প। সোহরাওয়ার্দী মনে করেন যে, যখন এ স্বাধীনতা অর্জিত হবে তখন বাংলায় শান্তি ও সমৃদ্ধির এক নবযুগের সূচনা হবে। আবুল হাশিম বাংলার কংগ্রেস ও মুসলিম নেতাদের প্রতি তাঁদের নিজেদের সমস্যা ব্রিটিশ প্রশাসনের আওতার বাইরে শান্তিপূর্ণ ও সুখকরভাবে নিষ্পত্তিতে সম্মিলিতভাবে প্রয়াসী হওয়ার আবেদন জানান। বাংলা প্রাদেশিক কংগ্রেস নেতাদের মধ্যে শরৎ বসু অবিভক্ত বাংলার প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রী সোহরাওয়ার্দীর সঙ্গে ঐকমত্য পোষণ করেন।"
] | [
"অবিভক্ত স্বাধীন বাংলা\nসর্বভারতীয় রাজনীতিতে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলা প্রস্তাবের বিরুদ্ধে প্রধান বিরোধিতা আসে ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের পক্ষ থেকে। কংগ্রেস হাইকমান্ড অবিভক্ত বাংলায় মুসলমানদের স্থায়ী আধিপত্যের সম্ভাবনায় শঙ্কিত হন। জওহরলাল নেহরু ও সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল সার্বভৌম বাংলার ধারণার ব্যাপারে ঘোর বিরোধী ছিলেন। নেহরুর ধারণা ছিল যে, এ পরিকল্পনার মাধ্যমে বাংলার মুসলিম লীগ কার্যত গোটা বাংলাকে পাকিস্তানে যোগ দিতে বাধ্য করবে। তিনি আরও মনে করতেন যে, যদি বাংলা অবিভক্ত থাকে তবে তা ভারতীয় ইউনিয়নের একটি অংশ হওয়া উচিত। তিনি পরিষ্কারভাবে বলেন যে, কংগ্রেস স্বতন্ত্র বাংলা রাষ্ট্রকে পাকিস্তানের গুরুত্বপূর্ণ সংযোজনা হিসেবে গণ্য করবে।",
"অবিভক্ত স্বাধীন বাংলা\nঅবিভক্ত স্বাধীন বাংলা কিংবা একটি বাঙালি জাতীয়তাবাদ কেন্দ্রিক ঐতিহাসিক রাজনৈতিক মতবাদ যা দক্ষিণ এশিয়ার সকল বাংলা ভাষাভাষী মানুষের একটি কেন্দ্রীভূত স্বাধিন বাঙালি রাষ্ট্র ব্যবাস্থার দাবি করে । বাঙালি জাতীয়তাবাদী মাওলানা ভাসানি, হোসেন শহীদ সোহ্রাওয়ার্দী, শরৎচন্দ্র বসু প্রমুখ প্রখ্যাত বাঙালি একটি অবিভক্ত স্বাধিন বাংলা প্রজাতন্ত্রের একনিষ্ঠ সমর্থক ছিলেন। বাঙালি জাতীয়তাবাদ হল একটি রাজনৈতিক অভিব্যক্তি যার মাধ্যমে প্রাচীন কাল থেকে দক্ষিণ এশিয়ায় বসবাসরত বাঙালি জাতি, তথা বাংলা ভাষাগত অঞ্চলের অধিবাসীদের বুঝানো হয়ে থাকে। বাঙালি জাতি উপমহাদেশের একটি অন্যতম জাতীয়তাবাদী চেতনায় প্রভাবিত এক প্রভাবশালী জাতি। বাঙালি জাতীকে উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের রূপকার বলা হয়ে থাকে। অবিভক্ত বাংলা পরবর্তীতে ব্রিটিশ চক্রান্তে বিভক্ত করা হয়। প্রাচীন বঙ্গদেশ অর্থাৎ বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা, অসম ও আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে বসবাসকারী মানব সম্প্রদায়ের একতাবদ্ধ জাতি রাষ্ট্রের রাজনৈতিক ধারনাকে অবিভক্ত স্বাধীন বাংলা বা বৃহত্তর বাংলাদেশ বলা হয়ে থাকে, যাদের ইতিহাস অন্ততঃ চার হাজার বছর পুরোনো।",
"অবিভক্ত স্বাধীন বাংলা\nব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ সার্বভৌম স্বাধীন অবিভক্ত বাংলা ধারণার প্রতি সর্বাত্মকভাবে বৈরী ছিলেন এমন নয়। বাংলার তৎকালীন গভর্নর ফ্রেডারিক বারোজ প্রদেশটির আদৌ বিভক্তির পক্ষপাতী ছিলেন না। তিনি বরং সোহরাওয়ার্দী-বসু ফর্মুলার পক্ষপাতী ছিলেন এবং তা যাতে বাস্তবায়িত হয় সে জন্য তিনি যথাসাধ্য চেষ্টাও করেন। ভাইসরয়ও ভারত ও পাকিস্তানের ডোমিনিয়ন মর্যাদার সঙ্গে অবিভক্ত বাংলাকেও ওই একই মর্যাদা দিতে অনিচ্ছুক ছিলেন না। তিনি সোহরাওয়ার্দীকে এ মর্মে আশ্বাস দেন যে, লীগ ও কংগ্রেস হাইকমান্ড অনুমোদন করলে বাংলা নিয়ে যেকোনো নিস্পত্তি ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ মেনে নেবে। তবে ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষকে সর্বভারতীয় দৃষ্টিভঙ্গি থেকে এ প্রশ্ন বিবেচনা করতে হবে। তাঁরা মাত্র একটি প্রদেশের স্বার্থের জন্য গোটা ভারতের নিরাপত্তার প্রশ্নে রফা করতে আগ্রহী ছিলেন না। তাই এ পরিকল্পনা যে ব্যর্থ হবে তা ছিল প্রায় পূর্বনির্ধারিত। এরপর কংগ্রেস ও লীগ হাইকমান্ড ভারত বিভক্তি এবং ভারত ও পাকিস্তান নামে দুটি ডোমিনিয়নের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করার মাউন্টব্যাটেন পরিকল্পনা (১৯৪৭ সালের ৩ জুন) গ্রহণ করায় অবিভক্ত বাংলা ধারণার ওপর চূড়ান্ত আঘাত আসে।",
"অবিভক্ত স্বাধীন বাংলা\nব্রিটিশ রাজ ভারতে ক্যাবিনেট মিশন ১৯৪৬ প্রেরন করলে বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির এ সময়ে বাংলার প্রধানমন্ত্রী হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী আনুষ্ঠানিকভাবে অবিভক্ত বাংলাকে স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র করার এক পরিকল্পনা পেশ করেন। নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর বড় ভাই শরৎচন্দ্র বসুও তাঁর সার্বভৌম সমাজতান্ত্রিক বাংলা প্রজাতন্ত্রের এক প্রস্তাব উত্থাপন করেন। ১৯৪৭ সালের ২৬শে এপ্রিল ইংরেজ বড়লাট মাউন্টব্যাটেনের সাথে এক সভায় হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী উত্থাপন করেন অবিভক্ত স্বাধীন বাংলা প্রস্তাব। হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দি তার এই পরিকল্পনার পক্ষে সমর্থন সৃষ্টির জন্য মাউন্টব্যাটেনের কাছ থেকে দুমাস সময় চেয়ে নেন। মাউন্টব্যাটেন তাকে জানান যে তিনি দেশ বিভাগের বিরুদ্ধে, তবে ঐক্যবদ্ধ ভারত না হলে ক্যাবিনেট মিশনের প্রস্তাবকেই তিনি অগ্রাধিকার দেবেন। ঐদিনই কায়েদে আজম জিন্নাহর সাথে সাথে মাউন্টব্যাটেনের এক বৈঠক হয়। সে বৈঠকে তিনি জিন্নাহকে জানান সোহরাওয়ার্দি তাকে বলেছেন যে ভারত বা পাকিস্তান কারো সাথে যোগ দেবে না এই শর্তে অবিভক্ত বাংলা থাকা সম্ভব। জিন্নাহ ঐক্যবদ্ধ স্বাধীন বাংলার প্রস্তাব সমর্থন করেন।",
"অবিভক্ত স্বাধীন বাংলা\nসোহরাওয়ার্দী ভারত ইউনিয়নের বাইরে সম্পূর্ণভাবে এক স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে যুক্ত বাংলাকে দেখতে চেয়েছিলেন। কিন্তু শরৎ বসু অবিভক্ত বাংলাকে কল্পনা করেছিলেন ভারত ইউনিয়নের মধ্যেই এক সার্বভৌম সমাজতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র হিসেবে। তাঁরা উভয়েই বাংলা বিভাগের তীব্র প্রতিবাদ জানান। এ বিভক্তির উদ্যোগ নিয়েছিলেন কংগ্রেসের সংখ্যাগরিষ্ঠ নেতৃবৃন্দ এবং এ প্রদেশের হিন্দু মহাসভার নেতারা। বাংলার কতিপয় হিন্দু ও মুসলিম নেতা সোহরাওয়ার্দী ও শরৎ বসুর প্রয়াসের সমর্থন জানিয়েছিলেন। এঁদের মধ্যে বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ হলেন: কিরণশঙ্কর রায় (বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক সভার কংগ্রেস সংসদীয় দলনেতা), সত্যরঞ্জন বখশী (শরৎ বসুর সচিব), আবুল হাশিম (বাংলা প্রাদেশিক মুসলিম লীগের সম্পাদক), ফজলুর রহমান (বাংলা প্রদেশের রাজস্ব মন্ত্রী), মুহম্মদ আলী (সোহরাওয়ার্দী মন্ত্রিসভার অর্থমন্ত্রী) ও আরও অনেকে। প্রস্তাবটি কিছুকাল ধরে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সংস্থায় আলোচিত হয় এবং বাংলার তৎকালীন নেতাদের মধ্যে এ নিয়ে ঐকমত্যে আসার জন্য গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা চলে।",
"অবিভক্ত স্বাধীন বাংলা\nস্বাধীন সার্বভৌম বাংলা সৃষ্টির জন্য ১৯৪৭ সালের ২০শে মে সোশ্যালিস্ট রিপাবলিকান পার্টির নেতা শরৎচন্দ্র বসুর বাড়িতে নেতা পর্যায়ে একটি ত্রিদলীয় আলোচনা সভা হয়। এ সভায় উপস্থিত ছিলেন তৎকালীন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী সোহরাওয়ার্দি, মুহম্মদ আলী, ফজলুর রহমান, প্রাদেশিক মুসলিম লীগের সম্পাদক আবুল হাশিম, আব্দুল মালেক, অবিভক্ত বাংলার কংগ্রেস পরিষদীয় দলের নেতা কিরণশঙ্কর রায়, সত্যরঞ্জন বক্সী এবং শরৎচন্দ্র বসু। এ সভায় আবুল হাশিম ও শরৎ বসু সবার সাথে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলা বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে এক চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। কিরণশঙ্কর রায় কংগ্রেস পার্টির দলের ঘোষিত নীতির বিরোধিতা করে এই প্রস্তাবের সাথে যুক্ত হন। সোহরাওয়ার্দি ও আবুল হাশিম একইভাবে মুসলিম লীগের ঘোষিত নীতির বিরুদ্ধে কাজ করেন। সোহরাওয়ার্দী ও শরৎ বসুর মধ্যে বাংলার সার্বভৌম মর্যাদা কি হবে তা নিয়ে মতপার্থক্য ছিল। কিন্তু তাঁদের উভয়েরই প্রাথমিক উদ্দেশ্য ছিল বাংলা প্রদেশের বিভক্তি রোধ করা।",
"অবিভক্ত স্বাধীন বাংলা\nবাংলার কংগ্রেস সদস্যদের অধিকাংশ যখন স্বাধীন বাংলার জন্য সোহরাওয়ার্দীর পরিকল্পনার বিরোধিতা করে, তখন প্রদেশের মুসলিম লীগ মহলগুলির মনোভাবও বিভক্তির পক্ষে চলে আসে। বাংলা মুসলিম লীগের বৃহত্তর অংশ তথা জিন্নাহর অনুসারীরা খাজা নাজিমউদ্দীন ও মওলানা আকরাম খানের নেতৃত্বে দাবি করতে থাকে যে, বাংলা একক পাকিস্তান রাষ্ট্রের অবিচ্ছেদ্য অংশ হবে, কোনো স্বাধীন রাষ্ট্র নয়। জিন্নাহ যেমন পাকিস্তান সম্পর্কে অনমনীয় ছিলেন, নাজিমউদ্দীন, আকরাম খান ও তাঁদের অনুসারীরাও ঠিক তেমন অনড় ছিলেন। তাঁরা জিন্নাহর দ্বিজাতি তত্ত্বে দৃঢ় বিশ্বাসী ছিলেন।",
"অবিভক্ত স্বাধীন বাংলা\nবাংলা প্রাদেশিক মুসলিম লীগের ওয়ার্কিং কমিটি ১৯৪৭-এর ২৮ মে আকরাম খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় এ নিরীক্ষামূলক চুক্তির শর্তগুলির নিন্দা করে এবং লীগের পাকিস্তান দাবির প্রতি অবিচল ও জিন্নাহর নেতৃত্বে পূর্ণ আস্থা রাখার কথা পুনর্ব্যক্ত করে। এরপর ১৯৪৭ সালের ২৮ মে তারিখে প্রদত্ত ভারতীয় কংগ্রেসের নিখিল ভারত কংগ্রেস কমিটির সাধারণ সম্পাদকের এক বিবৃতি অবিভক্ত বাংলার ফর্মুলাকে আরও একদফা বিপর্যস্ত করে। ভারতীয় কংগ্রেসের পথ ধরে বাংলা প্রাদেশিক কংগ্রেসের সম্পাদক কালীপদ মুখার্জি এ পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান করে ১৯৪৭ সালের ১ জুন এক বিবৃতি প্রদান করেন।",
"অবিভক্ত স্বাধীন বাংলা\nপ্রায় একই সময়ে বাংলার প্রাদেশিক হিন্দু মহাসভা এ মর্মে দৃঢ় সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে যে, বাংলার হিন্দুরা, অন্ততপক্ষে বাংলার হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চলসমূহ, অবশ্যই ভারত ইউনিয়নের মধ্যে থাকবে এবং উক্ত অঞ্চলসমূহকে ভারতের অবশিষ্ট অঞ্চল থেকে বিচ্ছিন্ন করা যাবে না। এ ব্যাপারে শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি বাংলা কংগ্রেস এবং দেশের কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক আইন সভাগুলির বাঙালি হিন্দু সদস্যদের সমর্থন তাঁর পক্ষে আনতে সমর্থ হন। ঠিক এ পর্যায়ে যখন কংগ্রেস-হিন্দু মহাসভা অাঁতাত সাফল্যের সঙ্গে বাংলা বিভক্তির জন্য তাঁদের অভিযান সফলভাবে চালিয়ে যাচ্ছিল, তখন সোহরাওয়ার্দীও বাংলা সম্পর্কিত তাঁর পরিকল্পনা আনুষ্ঠানিকভাবে, ঘোষনা দেন। ১৯৪৭ সালের ২৭ এপ্রিল দিল্লিতে এক সম্মেলনে সোহরাওয়ার্দী তাঁর স্বাধীন অবিভক্ত বাংলার পরিকল্পনা প্রকাশ করেন। এরপর আবুল হাশিম ১৯৪৭-এর ২৯ এপ্রিল কলকাতায় প্রদত্ত এক বিবৃতিতে একই ইস্যুতে তাঁর অভিমত ঘোষণা করেন। এর কয়েকদিন পর শরৎ বসু তাঁর সার্বভৌম সমাজতান্ত্রিক বাংলা প্রজাতন্ত্রের প্রস্তাব উত্থাপন করেন।"
] | 22 |
সাদ্দাম হোসেন আবদুল মাজিদ আল তিকরিতি কবে নিহত হন ? | [
"সাদ্দাম হুসাইন\nপ্রথমে সাদ্দাম হোসেন জেনারেল আহমেদ হাসান আল বকরের উপ-রাষ্ট্রপতি ছিলেন। সেই সময় সাদ্দাম দৃঃঢ় ভাবে সরকার ও সামরিক বাহিনীর মধ্যকার বিরোধের অবসান ঘটান। এই উদ্দেশ্যে তিনি নিরাপত্তা বাহিনী গঠন করেন। ইরাকের রাষ্ট্রপতি ও বাথ পার্টির প্রধান হিসেবে সাদ্দাম হোসেন আরব জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে ধর্ম নিরপেক্ষ ও আধুনিক ইরাক গড়ে তুলতে প্রয়াস নেন। সাদ্দাম এক দলীয় শাসন কায়েম করেন। এসময়ই সাদ্দাম ইরানের সাথে ৯ বছরের যুদ্ধে জড়িয়ে পরেন (১৯৮০-১৯৮৮)। ইরাক-ইরান যুদ্ধের পরে ১৯৯১-এ সাদ্দাম উপসাগরীয় যুদ্ধে জড়িয়ে পরেন। সাদ্দাম তার মতে ইরাকের স্থিতিশীলতার বিরুদ্ধের সকল পক্ষকে নির্মুল করার উদ্যোগ নেন। এই বিরুদ্ধ পক্ষে ছিল উপজাতীয় ও ধর্মীয় গোত্র গুলো যারা স্বাধীনতা দাবি করছিল। যেমন, ইরাকি শিয়া মুসলমান, কুর্দি, ইরাকি তুর্কি জনগন। ২০০৩ সালে যুক্তরাজ্যের নেতৃত্বে কতিপয় আন্তর্জাতিক রাষ্ট্র ইরাক আক্রমণ করে। তারা এই যুক্তি দেখিয়ে আক্রমণ করে যে, সাদ্দাম ব্যাপক ধ্বংসাত্বক জীবানু অস্ত্র তৈরি করছেন (যদিও যুদ্ধ পরবর্তি সময়ে এমন কোন অস্ত্রের হদিস পাওয়া যায় নাই)। ১৩ ডিসেম্বর ২০০৩ সালে সাদ্দাম হোসেন আমেরিকান সেনাদের কাছে ধরা পড়েন। পরবর্তিতে আমেরিকা ইরাকি সরকারের হাতে সাদ্দাম হোসেনের বিচার করে। সাদ্দামের বিরুদ্ধে ছিল মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ। ২০০৬ সালের ৩০ ডিসেম্বর ইরাকি সময় সকাল ৬.০৬ মিনিটে ইরাকে সাদ্দাম হোসেনের ফাঁসি কার্যকর হয়।",
"সাদ্দাম হুসাইন\nসাদ্দাম হোসেন আবদুল মাজিদ আল তিকরিতি (আরবি: (এপ্রিল ২৮, ১৯৩৭- ডিসেম্বর ৩০, ২০০৬) ইরাকের সাবেক রাষ্ট্রপতি। তিনি জুলাই ১৬, ১৯৭৯ থেকে এপ্রিল ৯, ২০০৩ নাগাদ ইরাকের রাষ্ট্রপতি ছিলেন।"
] | [
"বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়\nজহুরুল হক হল আক্রমণকারী বাহিনী ব্রিটিশ কাউন্সিল প্রহরারত ইপিআর সদস্যদের পৈশাচিকভাবে হত্যা করে। তারা শিক্ষকদের ক্লাব লাউঞ্জে আশ্রয়গ্রহণকারী ক্লাব কর্মচারী সিরাজুল হক, আলী হোসেন, সোহরাব আলি গাজী এবং আবদুল মজিদকে হত্যা করে। টিএসসিতে নিহত কর্মচারীরা ছিলেন আবদুস সামাদ, আবদুস শহীদ, লাড্ডু লাল। রোকেয়া হল চত্বরে নিহত হন আহমদ আলী, আবদুল খালেক, নমী, মো: সোলায়মান খান, মোঃ নুরুল ইসলাম্, মোঃ হাফিজউদ্দিন, মোঃ চুন্নু মিয়া এবং তাদের পরিবার পরিজন।",
"আহমদ শাহ মাসউদ\n২০০১ সালের ৯ই সেপ্টেম্বর (টুইন টাওয়ারে হামলার মাত্র দুই দিন আগে) উত্তর আফগানিস্তানর তাখার প্রদেশে খাজা বাহাউদ্দিন এলাকায় আত্মঘাতি হামলায় আহমদ শাহ মাসউদ নিহত হন। এ হামলার জন্যে আল-কায়েদাকে অভিযুক্ত করা হয়। কারণ ওসামা বিন লাদেনের সঙ্গে তাঁর বিরোধ ছিলো। এর আগে বহুবার কেজিবি, আইএসআই আফগান কমিউনিস্ট কেএইচএডি, তালেবান ও আল-কায়েদা তাঁকে হত্যা করার চেষ্টা করে । কিন্তু তাদের সেসব প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। তাঁর জন্মস্থান বাজারাকেই তাঁকে দাফন করা হয়। তিনিই একমাত্র আফগান নেতা যিনি কখনো আফগানিস্তানের বাইরে থাকেন নি।",
"আবদুল্লাহ বিন আলি\n১৪ জুলাই বিপ্লবে রাজপরিবারের অধিকাংশ সদস্যের সাথে আবদুল্লাহ নিহত হন। ১৯৫৮ সালে কর্নেল আবদুল করিম কাসিমের এ অভ্যুত্থানে ইরাকের রাজতন্ত্রের অবসান ঘটে। আবদুল্লাহর মৃতদেহ রশিদ স্ট্রিটে প্রদর্শন করা হয় ও পরে টুকরো টুকরো করে ফেলা হয়। ২১ জুলাই টাইম ম্যাগাজিনের সংস্করণ অণুযায়ী, “জামাল আবদেল নাসেরের ‘মধ্যপ্রাচ্য সংবাদ সংস্থা আবদুল্লাহর হত্যাকান্ডের বর্ণনা করেঃ লোকেরা আবদুল্লাহর শরীরকে কুকুরের মত রাস্তায় টেনে নিয়ে যায় এবং অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিচ্ছিন্ন করে ফেলে।‘ এরপর জনতা মৃতদেহ জ্বালিয়ে দেয়।",
"মুহাম্মদ নজিব আর-রুবাই\n১৯৫৮ সালে সংঘটিত অভ্যুত্থানে তিনি ও আবদুল করিম কাসেম অন্যতম নেতা ছিলেন। এই বিদ্রোহে রাজা দ্বিতীয় ফয়সাল, ইরাক ক্ষমতাচ্যুত হন। ১৯৫৯ সালের ৭ অক্টোবর বিশ বছর বয়সী সাদ্দাম হোসেন তাকে হত্যার ব্যর্থ চেষ্টা চালান।",
"আসিয়া বিবির ধর্ম অবমাননার ঘটনা\n৪ জানুয়ারী ২০১১ সালে ইসলামাবাদের কোশার মার্কেটে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী সালমান তাসির আততায়ীর হাতে নিহত হন। আততায়ী ছিলেন তারই নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ২৬ বছর বয়সী মালিক মুমতাজ হুসেইন কাদরী। নওরীনকে সমর্থন করায় এবং ধর্ম অবমাননা নামক আইনের বিরোধিতা করার জন্য কাদরী এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। মুমতাজ কাদরীর মৃত্যদণ্ডাদেশ হয় এবং ২৯ ফেব্রুয়ারী ২০১৬ সালে তাকে ফাঁসিকাষ্ঠে ঝুলানো হয়। তাসির প্রকাশ্যেই ধর্ম অবমাননা নামক আইনের সমালোচনা করতেন। তার মৃত্যুর পরদিন তালিবান এবং কিছু ধর্মীয় নেতার হুমকি সত্ত্বেও মুখ্যমন্ত্রীর জানাজায় সহস্রাধিক মানুষ অংশগ্রহণ করেছিলেন, যদিও পাকিস্তানী জনতার একটা উল্লেখযোগ্য অংশ কাদরীর হত্যাকান্ডের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছিলেন এবং কাদরীকে নেতা হিসেবে অভিহিত করেন; মুখ্যমন্ত্রীর হত্যাকান্ডের পর সহস্রাধিক সুন্নী মুসলিম ধর্ম অবমাননামূলক এই আইনের সমর্থনে মিছিল বের করেন। ৫০০ বালের্ভি আলেম নিজ নিজ অনুসারীদের তাসিরের মৃত্যুতে শোক প্রকাশে নিষেধাজ্ঞা জারী করেন। এই দ্বারাই দেশটির জনগণ মৌলবাদীদের মেনে নিচ্ছে বলে শঙ্কা প্রকাশ করা হয়।",
"সাদ্দাম হুসাইন\nসাদ্দাম আব্দ আল মাজিদ আল তিকরিতি ইরাকি শহর তিকরিত থেকে ১৩ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত আল-আওজা শহরে আল-বেগাত নামে একটি মেষপালক গোত্রে জন্মগ্রহণ করেন। আল-বেগাত গোত্রটি আল-বু নাসির (البو ناصر) গোত্রের অন্তর্গত। তাঁর মা, সুবহা তুলফা আল মুসসালাত তাঁর নবজাতক পুত্রের নাম রাখেন সাদ্দাম, যার আরবি মানে \"যিনি মোকাবেলা করেন\"। তিনি সর্বদা এই ব্যক্তিগত নাম, যা গোত্রনাম এবং অন্যান্য উপাদান দ্বারা অনুসরণ করা যেতে পারে দ্বারা উল্লেখ করা হয়. যখন তিনি তার পিতাকে হুসাইনের 'আব্দ আল মজিদ, ছয় মাস অদৃশ্য আগে সাদ্দাম জন্মগ্রহণ জানতাম না. এর অল্প কিছুদিন পরে, সাদ্দামের 13 বছর বয়সী ভাই ক্যান্সারে মারা যান. শিশু সাদ্দাম তার মাতুল কাইরাল্লাহ তুলফা পর্যন্ত তিনি তিনটি ছিল পরিবারের কাছে পাঠানো হয়েছিল.",
"আবু আইয়ুব আল-মাসরি\n১৮ই এপ্রিল, ২০১০ সালে আবু আইয়ুব আল-মাসরি তিকরিতের নিকটস্থ একটি মার্কিন-ইরাকি যৌথ অভিযানে নিহত হন। যৌথবাহিনী মনে করে যে, আল-মাসরি ঐ সময় বিস্ফোরণের জন্য আত্মঘাতী বোমা দ্বারা সজ্জিত ছিলেন। দীর্ঘক্ষণ গোলাগুলি এবং বোমাবর্ষণের পর ইরাকি সৈন্য ঘরে প্রবেশ করে এবং দুইজন জীবিত মহিলাকে পায়, যাদের একজন ছিল আল-মাসরির স্ত্রী। আল-মাসরি, আবু ওমর আল-বাগদাদি এবং আল-বাগদাদির পুত্রকে চিহ্নিত করা হয়। ইরাকি সেনাবাহিনীর মতে, আল-মাসরির মৃতদেহে একটি আত্মঘাতী বোমা পাওয়া গিয়েছিল \nইরাকের প্রধানমন্ত্রী নুরি আল-মালিকি বাগদাদে একটি সংবাদ সম্মেলনে আবু ওমর আল-বাগদাদি এবং আবু আইয়ুব আল-মাসরি নিহত হবার ঘোষণা করেন। এবং সাংবাদিকদেরকে তাদের মৃতদেহের ছবি দেখান। তিনি জানান, \"এই আক্রমণ স্থল বাহিনীর মাধ্যমে সম্পন্ন হয়েছে যারা বাড়িটি পরিবেষ্টন করে ছিলো। এবং মিসাইল নিক্ষেপকও ব্যবহার করা হয়েছিল।\" মালিকি আরো বলেন, \"অভিযানের সময় কম্পিউটারগুলো সীজ করা হয়েছিল। ওসামা বিন লাদেন এবং (তার সহকারী) আয়মান আল-জাওয়াহিরী থেকে।\" আমেরিকা সেনাকর্মকর্তা জেনারেল রেমন্ড অদির্নো এই অভিযানের ব্যাপারে বলেন, \"এই সন্ত্রাসীদের মৃত্যু আল কায়েদাকে তাদের ইরাকে বিদ্রোহ শুরুর থেকে যথাসম্ভব সর্বাধিক চোট পৌঁছিয়েছে।\" তিনি বলেন, \"যদিও এখানে তাদের কার্যক্রম এখনো চলবে, কিন্তু এটি ইরাককে সন্ত্রাসমুক্ত করার সর্বোচ্চ পদক্ষেপ বলা যায়।",
"মুমতাজ কাদরী\nমালিক মুমতাজ হোসেইন কাদরী (১৯৮৫ – ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬) মুমতাজ কাদরী নামে সমাধিক পরিচিত, তিনি পাঞ্জাবের গভর্নর সালমান তাসিরের হত্যাকারী ছিলেন। কাদ্রি এলিট পুলিশের কমান্ডো এবং তাসিরের ব্যক্তিগত দেহরক্ষী স্কোয়াড সদস্যদের একজন ছিলেন। কাদরী সুন্নী ইসলামের একটি সংস্করণ বেরলভীর অনুসারী ছিলেন। তিনি তাসিরকে ৪ জানুয়ারী ২০১১ খ্রিস্টাব্দে হত্যা করেছিলেন। কাদরীর দাবী অনুসারে তিনি তাসিরকে হত্যা করেছেন, কারণ তাসির ধর্ম অবমাননার দায়ে গ্রেফতারকৃত আসিয়া বিবিকে সমর্থন করেছিলেন। ইসলামাবাদের উচ্চ আদালত কাদরীকে সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড দেয়। ফেব্রুয়ারী ২০১৬ খ্রিস্টাব্দে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়।",
"তারিক মেহমুদ\nমাহমুদ নিহত হন ২৯ মে ১৯৮৯ সালে। যখন তিনি গুজরানওয়ালার রাহওয়ালিতে পাকিস্তান আর্মি এভিয়েশন স্কুলে এসএসজির প্যারাট্রুপারদের একটি ফ্রি-ফলের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন। জাম্পটি ছিল আর্মি এভিয়েশনের পাসিং আউট প্যারেডের একটি অংশ। দুর্ঘটনাটা ঘটে সেনাবাহিনীর একটি এমআই-১৭ হেলিকপ্টার থেকে পরীক্ষামূলক লম্ফ দেয়ার সময়। তখন মাহমুদ তার মূল এবং মজুত উভয় প্যারাসুট খুলতে ব্যর্থ হয়। দুর্ঘটনা তদন্তের সময় দেখা গেছে, তার প্রথম প্যারাসুট খুলে নাই। দড়িগুলো বাজেভাবে পেচিয়ে গিয়েছিল। মাহমুদ তার ছোড়া দিয়ে দড়িগুলো কেটে ব্যাকআপ প্যারাসুট খোলার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু নিজের অজ্ঞাতে মূল ও ব্যাকআপ উভয় প্যারাসুট কেটে ফেলেন এবং প্রচণ্ড গতিতে মাটিতে আছড়ে পড়েন।"
] | 9 |
লাল রং কিসের প্রতীক ? | [
"বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা\nবাংলাদেশের জাতীয় পতাকা সবুজ আয়তক্ষেত্রের মধ্যে লাল বৃত্ত। সবুজ রং বাংলাদেশের সবুজ প্রকৃতি ও তারুণ্যের প্রতীক, বৃত্তের লাল রং উদীয়মান সূর্য, স্বাধীনতা যুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারীদের রক্তের প্রতীক। বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার এই রূপটি ১৯৭২ সালের ১৭ জানুয়ারি সরকারীভাবে গৃহীত হয়।",
"সিঙ্গাপুরের লাল প্রতীক চিহ্ন\nসিংগাপুরের লাল প্রতীকচিহ্ন একটি বেসামরিক প্রতীকচিহ্ন, যা সিংগাপুরে নিবন্ধিত ব্যক্তিগত মালিকানার বেসামরিক জাহাজে ব্যবহৃত হয়। প্রতীকচিহ্নের সামগ্রিক নকশা জাতীয় পতাকার পরিবর্তিত রূপ, এখানে পতাকাটির দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি করে দৈর্ঘ্য এবং প্রস্থের অনুপাত ২ঃ১ করা হয়েছে। ১৯৬৬ সালের আইন অনুসারে প্রতীকচিহ্নটি প্রস্তুত করা হয়। এই পতাকার ব্যবহার সিঙ্গাপুরের সমুদ্র ও বন্দর কর্তৃপক্ষ \"ম্যারিটাইম এন্ড পোর্ট অথরিটি অব সিঙ্গাপুর\" (এমপিএ) দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। এমপিএ এর মতে লাল চিহ্নটি, সিঙ্গাপুরের পতাকাবাহী বেসামরিক জাহাজে ব্যবহার করা একমাত্র প্রতীক এবং এটির বিকল্প হিসেবে জাতীয় পতাকার ব্যবহার গ্রহণযোগ্য নয়। বন্দরে যাতায়াতকারী সিংগাপুরের নিজস্ব সকল জাহাজে প্রতীক চিহ্নটি অবশ্যই উত্তোলিত রাখতে হবে।",
"সিঁদুর\nহিন্দু নারীর সিঁদুর পরা নিয়ে সাংস্কৃতিক নৃতত্ত্ব ভিন্ন কথা বলে। সেই বিদ্যার বিশেষজ্ঞদের মতে, লাল বর্ণের সিঁদুর কপালে ধারণ করার অর্থ জড়িয়ে রয়েছে আদিম উর্বরাশক্তির উপাসনার মধ্যে। হিন্দু ধর্ম বলে আজ যা পরিচিত, তার উৎস এক টোটেমবাহী কৌম সমাজে। সেখানে গাছ, পাথর, মাটি ইত্যাদিকে প্রাকৃতিক শক্তির প্রতীক বলে মনে করত। আর তাদের কাছে লাল রংটি ছিল সৃষ্টির প্রতীক। সেই আদিম কাল থেকেই লাল সিঁদুরকে ভারতীয়রা বেছে নেন তাঁদের একান্ত প্রসাধন হিসেবে। বিবাহিতা মহিলাদের ললাটে কুঙ্কুম তাঁদের সন্তানধারণক্ষম হিসেবেই বর্ণনা করে। তার বেশি কিছু নয়।",
"লাল গালিচা\nবর্তমান ইউরোপে, মধ্যযুগে লাল রংকে আভিজাত্যের প্রতীক হিসেবে মনে করা হতো, তাই রেনেসাঁ যুগের শিল্পকর্মে সাধু, সম্রাট কিংবা অভিজাত ব্যক্তিদের পায়ের নিচে লালগালিচার উপস্থিতি দেখতে পাওয়া যায়।",
"লাল\nলাল রঙ তাপ, কর্মশক্তি, রক্ত ও ক্রোধ, ভালোবাসাসহ \"রক্তকে দোলা দেয়\" এমন সব আবেগের প্রতীক।"
] | [
"দ্য এজ অফ রিজন\nপাইন এছাড়াও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে আক্রমণ, ক্ষমতা ও সম্পদের জন্য তাদের লালসা এবং বৈজ্ঞানিক তদন্তে চার্চ বিরোধীর জন্য পুরোহিতদের অভিযুক্ত করা হয়। তিনি দুর্নীতি এবং নিপীড়নের এক হিসাবে খ্রিস্টধর্মের ইতিহাস উপস্থাপন। পাইন চার্চের অত্যাচারী কর্মের সমালোচনা করে, কারণ তিনি মানুষের অধিকার ও প্রচলিত জ্ঞানসমূহে ছিলেন, যে \"খ্রিস্টীয় তত্ত্ব প্রাচীন পুরাণলেখকদের মূর্তিপূজার তুলনায় একটু অন্য, ক্ষমতা এবং রাজস্ব উদ্দেশ্যে সম্পৃক্ত। \" এই ধরনের আক্রমণ পাইনের বইটি অন্য দেবতার কাজ থেকে পৃথক করে, যা সামাজিক এবং রাজনৈতিক শ্রেণী সংগ্রামের চ্যালেঞ্জের মধ্যে কম আগ্রহ ছিল। তিনি যুক্তি দেন যে চার্চ এবং রাষ্ট্র একক দুর্নীতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠান, যা জনগণের সর্বোত্তম স্বার্থে কাজ করে না, উভয়কেই মৌলিকভাবে পরিবর্তিত হতে হবে:ব্রিটিশ র্যাডিকালিজমের একজন পণ্ডিত জন মি, লিখেছেন: \"পাইন বিশ্বাস করতেন ... ধর্মের মধ্যে একটি বিপ্লবই ছিল প্রাকৃতিক সংহতি, এমনকী সম্পূর্ণরূপে সফল রাজনৈতিক বিপ্লব।\" পাইন একটি দৃষ্টি দেয়, ডেভিডসন এবং শ্মিকের শব্দের মধ্যে, \"বুদ্ধিজীবী স্বাধীনতা একটি যুগ, যখন কুসংস্কারের উপর জয়লাভ করা হবে, যখন মানবতার প্রাকৃতিক স্বাধীনতা যাজক নৈপুণ্য এবং রাজত্ব কমানো হবে, যা রাজনৈতিকভাবে পরিচালিত বোকা উপাখ্যান এবং ধর্মীয় কুসংস্কার উভয়ে মাধ্যমিক প্রভাব ছিল। \" এটা এই দৃষ্টিভঙ্গি যে পণ্ডিতরা পাইনের \"ধর্মনিরপেক্ষ সহস্রাব্দিত্ব\" বলে পরিচিত এবং এটি তার সমস্ত কাজগুলিতে প্রদর্শিত হয়- তিনি রাইটস অব ম্যান, উদাহরণ স্বরূপ, বিবৃতি দিয়ে: \"আমরা এখন কি দেখি, রাজনৈতিক জগতে সংস্কারের কিছুই অসম্ভব নয়। এটা বিপ্লব একটি বয়স, যা সবকিছু জন্য লাগতে পারে। \" পাইন \"পৃথিবীতে খ্রীষ্টের শাসনকালের মিলিয়ান প্রোটেস্ট্যান্ট দর্শনকে ইউটোপিয়ার একটি ধর্মনিরপেক্ষ মূর্তি রূপে রূপান্তরিত করে,\" ঈশ্বরের অগ্রগতি ব্যতীত \"অগ্রগতি\" এবং \"মানব নিখুঁততা\" এর সম্ভাবনার উপর জোর দেয় যা মানবজাতির দ্বারা অর্জন করা সম্ভব।",
"ভারতের জাতীয় পতাকা\n১৯০৭ সালের ২২ জুলাই জার্মানির স্টুটগার্ট শহরে ভিখাজি কামা অন্য একটি ত্রিবর্ণরঞ্জিত পতাকা উত্তোলন করেন। এই পতাকার উপরে ছিল সবুজ, মধ্যে গেরুয়া ও নিচে লাল রং। সবুজ রং ছিল ইসলামের প্রতীক ও গেরুয়া হিন্দু ও বৌদ্ধধর্মের প্রতীক। সবুজ ডোরাটির উপর ব্রিটিশ ভারতের আটটি প্রদেশের প্রতীক হিসেবে আটটি পদ্মের সারি অঙ্কিত ছিল। মধ্যের ডোরায় দেবনাগরী হরফে \"বন্দে মাতরম\" কথাটি লিখিত ছিল এবং নিচের ডোরায় পতাকাদণ্ডের দিকে অর্ধচন্দ্র ও উড্ডয়নভাগের দিকে একটি সূর্য অঙ্কিত ছিল। ভিখাজি কামা, বীর সাভারকর ও শ্যামজি কৃষ্ণ বর্মা একযোগে এই পতাকাটির নকশা অঙ্কন করেছিলেন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ ছড়িয়ে পড়লে বার্লিন কমিটিতে ভারতীয় বিপ্লবীরা এই পতাকাটি গ্রহণ করেন। সেই থেকে এটি \" বার্লিন কমিটি পতাকা\" নামে অভিহিত হয়। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে মেসোপটেমিয়ায় সক্রিয়ভাবে এই পতাকাটি ব্যবহৃত হয়েছিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গদর পার্টি পতাকাটি কিছু সময়ের জন্য ভারতের প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত হয়।",
"সিঙ্গাপুরের জাতীয় প্রতীক\nপ্রতীকচিহ্নের পটভূমি লাল রঙের ঢাল টিতে সাদা রঙের পাঁচটি তারকা আর তার উপরিভাগে,সাদা রঙের একটি অর্ধচন্দ্র যা সিঙ্গাপুরের জাতীয় পতাকা এবং বেসামরিক জাহাজে ব্যবহার করা প্রতীক চিহ্ন এর মতই। লাল রং বোঝায় \"সাম্যবোধের ও বিশ্ব ভাতৃত্ব বোধ\" এবং সাদার মাধ্যমে \"চির-বিশুদ্ধতা ও সদ-গুণাবলী\" এর উপর জোর দেয়া হয়। অর্ধচন্দ্র টি নতুন উদিত চাঁদ, যা \"একটি উদীয়মান বর্ধিষ্ণু জাতি\" চিহ্নিত করে। এছাড়া পাঁচটি তারা হলো \"গণতন্ত্র, শান্তি, প্রগতি, ন্যায়বিচার, ও সাম্য - এই পাঁচটি আদর্শের তাৎপর্যবাহী\"।",
"কিস নীতি\nKISS এর পূর্নরূপ হচ্ছে \"Keep it simple, stupid ( এটাকে সরল রাখো, গর্দভ)\", ১৯৬০ সালে যুক্তরাষ্টের নৌবাহিনী কর্তৃক অনুসরণকৃত নীতি। কিস নীতির ধারাভাষ্য হচ্ছে কোন কাজকে জটিল না করে সরল করে করাটাই সেরা মাধ্যম; তাই নকশা প্রণয়নে সরলতাকেই লক্ষ্য করতে হবে এবং সকল অপ্রয়োজনীয় জটিলতা পরিহার করতে হবে। এয়ারক্রাফট প্রকৌশলী কেলি জনসন(১৯১০-১৯৯০) এই শব্দগুচ্ছ প্রথম ব্যবহার করেন। ১৯৭০ সালের দিকে কিস নীতি ব্যবহার জনপ্রিয়তা অর্জন করে। অবশ্য এই শব্দগুচ্ছকে ভিন্ন ভিন্ন উপায়ে বলা হয়। যেমন \"keep it short and simple (খাটো এবং সরল রাখো)\", \"keep it simple and straightforward (সরল এবং সোজা রাখো)\" এবং \"keep it small and simple (ছোট এবং সরল রাখো)\"। বাংলা ভাষায় কিস প্রিনসিপ্যাল বা চুমু নীতি শব্দ গুচ্ছের ব্যবহার নেই।",
"কালো গণ্ডার\nCITES পরিশিষ্ট অধীনে আমি 1977 সাল থেকে কালো গণ্ডার শিংয়ের সমস্ত আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক বাণিজ্য নিষিদ্ধ। 8 এপ্রিল 1981 সাল থেকে চীন সিটসে যোগদান করে তবে কালো রেনো শিংয়ের বৃহত্তম আমদানিকারক। যাইহোক, এটি একটি ব্যবসায় যা না শুধুমাত্র অভিনেতা উপকার হয়, কিন্তু তাই জাতি হিসাবে তাদের পাশাপাশি উপেক্ষা করে। তবুও, মানুষ গাইনোকে তার প্রাকৃতিক পরিবেশ থেকে দূরে রাখে এবং মানুষের বিপদ থেকে বাঁচার জন্য তাদের উপর নির্ভরশীলতার জন্য অনুমতি দেয়। সশস্ত্র রক্ষিবাহিনী পাহারা রাখে গণ্ডারের সুরক্ষার জন্য পার্ক এবং রিজার্ভ তৈরি করা হয়েছে, কিন্তু এখনও অনেক শিকারী তাদের শিংয়ের জন্য গণ্ডার পরিচালনা করে। এই প্রাণীদের হত্যা বা সম্ভাব্য অন্যান্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং অস্ট্রেলিয়া হিসাবে অন্যান্য প্রজনন স্থল তাদের আনয়ন থেকে শিকারী বিরক্ত করার জন্য অনেক rhino শিং খুঁজে বের করা বিবেচনা করেছেন। হিংস্র ডারউইনের উদ্ভবের এই পদ্ধতিটি গিনোকে প্রশান্তি দিয়ে গঠিত, তারপর শিংকে শোষণ করার জন্য প্রায় পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়, যদিও শিকারের হ্রাসের এই কার্যকারিতা জানা যায় না এবং গিনো মারা তাদের শিংগুলি ব্যবহার করতে জানে না শিকারী বন্ধ রাখা।",
"ব্ল্যাক ভেইল ব্রাইডস\nব্ল্যাক ভেইল ব্রাইডস মূলতঃ হলিউড ভিত্তিক আমেরিকান রক ব্যান্ড। ২০০৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও অঙ্গরাস্ট্রে এই ব্যান্ডের জন্ম। ব্ল্যাক ভেইল ব্রাইডসএর সদস্যরা নিজেদের কালো মেকআপ,বডি পেইন্টিং, লম্বা চুল ও কালো রঙের আঁটসাঁট পোশাকের জন্য আলাদাভাবে পরিচিত। তাঁদের এই বেশভূষা আরেকটি জনপ্রিয় ব্যান্ড কিস(KISS) এবং ১৯৮০ এর অন্যান্য গ্লাম মেটাল ব্যান্ড থেকে অনুপ্রাণিত।"
] | 16 |
মসজিদ আল হারামের নির্মাণ কোথায় অবস্থিত ? | [
"মসজিদ আল-হারাম\nমসজিদ আল-হারাম () ইসলামের সবচেয়ে পবিত্র স্থান যা কাবাকে ঘিরে অবস্থিত। সৌদি আরবের মক্কা শহরে এর অবস্থান। মুসলিমরা নামাজের সময় কাবার দিকে মুখ করে দাঁড়ায়। হজ্জ ও উমরার জন্যও মসজিদুল হারামে যেতে হয়।",
"মসজিদ আল-হারাম অবরোধ\n১৯৭৯ সালের নভেম্বর ডিসেম্বর মাসে ইসলামী চরমপন্থীরা সৌদি আরবের, মক্কা শহরে অবস্থিত মুসলমানদের পবিত্র স্থান মসজিদ আল-হারাম দখল করে, যা ছিল মূলত সউদ রাজ পরিবাবের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ। বিদ্রোহীরা ঘোষণা করে যে, 'মাহাদি'র হিসেবে তাদের নেতা চলে এসেছে এবং মুসলমানরা তাকে মেনে চলবে।"
] | [
"আল-আকসা মসজিদ\nমসজিদুল আকসা () (আল-আকসা মসজিদ বা বাইতুল মুকাদ্দাস নামেও পরিচিত) ইসলামের তৃতীয় পবিত্রতম মসজিদ।জেরুজালেমের পুরনো শহরে এটি অবস্থিত। এটির সাথে একই প্রাঙ্গণে কুব্বাত আস সাখরা, কুব্বাত আস সিলসিলা ও কুব্বাত আন নবী নামক স্থাপনাগুলো অবস্থিত। স্থাপনাগুলো সহ এই পুরো স্থানটিকে হারাম আল শরিফ বলা হয়। এছাড়াও স্থানটি \"টেম্পল মাউন্ট\" বলে পরিচত এবং ইহুদি ধর্মে পবিত্র বলে বিবেচিত হয়। ইসলামের বর্ণনা অণুযায়ী মুহাম্মদ (সা) মিরাজের রাতে মসজিদুল হারাম থেকে আল-আকসা মসজিদে এসেছিলেন এবং এখান থেকে তিনি ঊর্ধ্বাকাশের দিকে যাত্রা করেন। ইতিহাসবিদ পণ্ডিত ইবনে তাহমিয়ার মতে , আসলে সুলাইমান এর তৈরি সম্পূর্ণ উপাসনার স্থানটির নামই হল মসজিদুল আল-আকসা ।মুহাদ্দিসগণ (হাদিস বিষয়ে পণ্ডিত) এই বিষয়ে একমত যে সম্পূর্ণ উপাসনার স্থানটিই ইসলামের নবী সুলাইমান (আঃ) তৈরি করেছিলেন যা পরবর্তীতে ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল । মুসলমানরা বিশ্বাস করে , নির্মাণের পর থেকে এটি ঈসা (আঃ) (খ্রিস্টধর্মে যিশু) সহ অনেক নবীর দ্বারা এক আল্লাহকে উপাসনার স্থান হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে এসেছে। এই স্থান মুসলিমদের প্রথম কিবলা (প্রার্থনার দিক)। হিজরতের পর কুরআনের আয়াত অবতীর্ণ হওয়ার কারণে কাবা নতুন কিবলা হয়। বর্তমানে \"আল-আকসা\" মসজিদ বলতে বোঝাায় কিবলি মসজিদ , মারওয়ানি মসজিদ ও বুরাক মসজিদ (৩টির) এর সমন্বয় যা \"হারাম আল শরীফ\" এর চার দেয়াল এর মধ্যেই অবস্থিত।",
"আল-আকসা মসজিদ\nইসলামে আল-আকসা মসজিদ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তারা বিশ্বাস করে যে ,এটি পৃথিবীতে নির্মিত দ্বিতীয় মসজিদ যা মসজিদুল হারামের পরে নির্মিত হয়। কুরআনে মিরাজের ঘটনা উল্লেখ করার সময় এই স্থানের নাম নেয়া হয়েছে।রাশিদুন খিলাফত এর পরেও ইসলামি পণ্ডিতরা একে ঐতিহ্যগতভাবে \"আল-ইসরা \" বলে উল্লেখ করত (যেহেতু সূরা বনী ইসরাঈল (রাত্রির যাত্রা) এ এটিকে উল্লেখ করা হয়েছে) । এই সুনির্দিষ্ট আয়াতটি ইসলামে \"আল-আকসা\" এর গুরুত্বকে প্রতিষ্ঠিত করেছে । এই আয়াতটিতে বলা হয়েছে \" পবিত্র ও মহিমময় তিনি যিনি তাঁর বান্দাকে রাতারাতি ভ্রমণ করিয়েছেন (মক্কার) মাসজিদুল হারাম হতে (ফিলিস্তীনের) মাসজিদুল আকসায় \"। এই আয়াতটির অনুবাদ ও ব্যাখ্যায় প্রায় সব পণ্ডিতই সুনির্দিষ্টভাবে \"আল-আকসা\" ও \"মসজিদ আল-হারাম\" উল্লেখ করেছেন এবং বর্ণিত \"আল- আকসা\" টি যে \"জেরুজালেমে \" অবস্থিত \"আল-আকসা\" টিই তা নিশ্চিত করেছেন (ড. মুজিবুর রহমান ,মহসিন খান,আব্দুল হামিদ ফাইজী ও অধ্যাপক মোজাম্মেল হকের বঙ্গানুবাদেও তাই )।",
"আল-আকসা মসজিদ\n\"হারাম এলাকা জেরুজালেমের পূর্ব অংশে অবস্থিত; এবং (এই মহল্লার) বাজারের মধ্যে দিয়ে গিয়ে একটি বৃহৎ ও সুন্দর ফটক দিয়ে আপনি এই এলাকায় প্রবেশ করবেন... এই ফটক পার হওয়ার পর আপনি দুটি বৃহৎ স্তম্ভের সারির (রিওয়াক) ডানে থাকবেন যেগুলোর প্রত্যেকটিতে নয় ও বিশটি মার্বেল স্তম্ভ আছে, যেগুলোর শীর্ষ ও ভিত্তি রঙ্গিন মার্বেলের, এবং সংযুক্তিগুলো সীসার। স্তম্ভের শীর্ষে আর্চ উত্থিত যা চুন বা সিমেন্ট ছাড়া পাথরে নির্মিত, এবং প্রতিটি আর্চ পাঁচ বা ছয়টির বেশি পাথরের ব্লক দ্বারা তৈরী নয়। এই স্তম্ভসারিগুলো মাকসুরাহ নিয়ে যায়\"।",
"মসজিদ আল-হারাম\n১৬২১ ও ১৬২৯ খ্রিষ্টাব্দে বৃষ্টি ও বন্যার কারণে কাবা ও মসজিদ আল হারামের দেয়াল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ১৬২৯ খ্রিষ্টাব্দে সুলতান চতুর্থ মুরাদের শাসনামলে কাবা পুনর্নির্মিত হয় এবং মসজিদ আল হারাম সংস্কার করা হয়। মসজিদ সংস্কারের সময় পাথরের নতুন খিলান নির্মিত হয় এবং তিনটি নতুন মিনার যুক্ত করা হয়। মেঝেতে মার্বেলের আচ্ছাদন নতুন করে স্থাপিত হয়। এরপর প্রায় তিনশত বছর মসজিদের রূপ অপরিবর্তিত ছিল।",
"আল-আকসা মসজিদ\n২০০৭ খ্রিষ্টাব্দের ফেব্রুয়ারিতে এই বিভাগ কর্তৃক প্রত্নতাত্ত্বিক ধ্বংসাবশেষের অণুসন্ধানের জন্য খননকার্য শুরু হয়। সরকার এখানে একটি পায়ে চলা সেতু নির্মাণ করতে চেয়েছিল যা মাগরাবি ফটকের দিকে নিয়ে যাবে। এই স্থানটি হারাম আল শরিফ কমপ্লেক্সের একমাত্র স্থান যেখনে অমুসলিমরা প্রবেশ করে থাকে। এই অংশটি মসজিদ থেকে দূরে অবস্থিত ছিল। এই খননকার্যের কারণে মুসলিম বিশ্বে নিন্দা উঠে এবং ইসরায়েলের বিরুদ্ধে মসজিদের ভিত্তি ধ্বংস করার চেষ্টার অভিযোগ আনা হয়। ফিলিস্তিনের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ও হামাসের নেতা ইসমাইল হানিয়া খননকার্য প্রতিরোধের জন্য ফিলিস্তিনিদের এক হওয়ার ডাক দেন। অন্যদিকে ফাতাহ বলে যে তারা ইসরায়েলের সাথে যুদ্ধবিরতি সমাপ্ত করবে। ইসরায়েল তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে।",
"হারাম আল-শরিফ\nহারাম আল শরিফ (\"টেম্পল মাউন্ট\" বলেও পরিচিত) হল জেরুজালেমের পুরনো শহরের গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় স্থানগুলোর অন্যতম। কয়েক হাজার বছর ধরে এটি ধর্মীয় স্থান হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ইসলাম, খ্রিষ্টান, ইহুদি ও রোমান ধর্ম এর ব্যবহার হয়েছে। স্থানটিতে আল আকসা মসজিদ, কুব্বাত আস সাখরা, কুব্বাত আস সিলসিলা ও কুব্বাত আন নবী নামক স্থাপনাগুলো অবস্থিত। বাইজেন্টাইন ও ইসলামি শাসনের প্রথমদিকের দেয়াল পাহাড়ের পার্শ্বদেশ ঘেষে অবস্থিত। চারটি ফটকের সাহায্যে এখানে প্রবেশ করা যায়। এগুলো ইসরায়েলি পুলিশ কর্তৃক প্রহরাধীন থাকে।",
"আল-আকসা মসজিদ\nবর্তমান স্থাপনাটি উমাইয়া যুগের। দ্বিতীয় খলিফা উমর ইবনুল খাত্তাব প্রথম এখানে একটি মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন। কয়েকজন মুসলিম পন্ডিত যেমন মুজিরউদ্দিন আল-উলাইমি, জালালউদ্দিন সুয়ুতি ও শামসউদ্দিন আল-মুকাদ্দাসি বলেন যে খলিফা আবদুল মালিক ৬৯০ খ্রিষ্টাব্দে মসজিদ পুনর্নির্মাণ ও সম্প্রসারণ করেন। সেসাথে তিনি কুব্বাত আস সাখরা নির্মাণ করেন। আবদুল মালিক মসজিদের কেন্দ্রীয় অক্ষ প্রায় পশ্চিমে সরিয়ে আনেন যা হারাম আল শরিফ নিয়ে তার সামগ্রিক পরিকল্পনার অংশ ছিল। পুরনো অক্ষ একটি মিহরাব দ্বারা চিহ্নিত করা হয় যা \"উমরের মিহরাব\" বলে পরিচিত। কুব্বাত আস সাখরার উপর গুরুত্ব দিয়ে আবদুল মালিক তার স্থপতিদের দ্বারা নতুন মসজিদকে সাখরার সাথে এক সারিতে আনেন।",
"আল-আকসা মসজিদ\n১৯৬৭ খ্রিষ্টাব্দের যুদ্ধের পর হারাম আল শরিফের বাইরে কয়েক দফা খননকার্য চালানো হয়েছে। ১৯৭০ খ্রিষ্টাব্দে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ মসজিদের দক্ষিণ ও পশ্চিম দিকের দেয়ালের বাইরে খননকার্য শুরু করে। ফিলিস্তিনিদের বিশ্বাস জন্মায় যে মসজিদের ভিত্তি দুর্বল করার জন্য এই খননকার্য চালানো হয়। তবে ইসরায়েল এই দাবি প্রত্যাখ্যান করে। ইসরায়েলের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ মসজিদের পশ্চিম অংশের নিচে ১৯৮৪ খ্রিষ্টাব্দে একটি সুড়ঙ্গ তৈরি করে। জেরুজালেমে ইউনেস্কোর বিশেষ দূত ওলেগ গ্রেবার বলেন যে ইসরায়েলি, ফিলিস্তিনি ও জর্ডানি সরকারের মধ্যে স্থানের দায়িত্ব নিয়ে দ্বন্দ্বের কারণে হারাম আল শরিফের দালান ও স্থাপনাগুলোর অবনতি হচ্ছে।"
] | 72 |
বাংলাদেশের প্রথম ব্যান্ডের নাম কী ? | [
"বাংলাদেশের ব্যান্ড\nবাংলাদেশের ব্যান্ড বা বাংলাদেশী ব্যান্ড বলতে বাংলাদেশে প্রচলিত রক ঘরনার সঙ্গীত ব্যান্ড বোঝায়। উনিশ শতকের ষাটের দশকে পূর্ব পাকিস্তানে বাংলা ব্যান্ডের সূচনা ঘটে। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের পরে ৭০ ও ৮০'র দশকে বাংলাদেশে রক ঘরনার ব্যান্ডের বিস্তৃতি ঘটে।\nব্রিটিশ আমল থেকেই ঢাকার বিভিন্ন হোটেল ও নবাব পরিবারের আমন্ত্রণে ব্রিটিশ ব্যান্ড ও সঙ্গীত তারকাদের ঢাকায় গান পরিবেশনের খবর পাওয়া যায়। পাক-ভারত বিভক্তির পরে ১৯৬৩ সালের ১৮ মার্চ ঢাকার সেন্ট গ্রেগরিজ স্কুলের এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রথম ব্যান্ড ধাঁচের গানের খবর পাওয়া যায়। সেই অনুষ্ঠানে ১৭ বছর বয়সী কিশোর টেলফার জনসন গিটার বাজার আর ক্লিফ রিচার্ডের গান পরিবেশন করেন। একই স্কুলের নবম শ্রেণীতে পড়ূয়া ফজলে রব, আলমগীর [পরবর্তীকালে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের জনপ্রিয় গায়ক], রফিক ও সাব্বির ব্যান্ড দল গঠন করেন। বলা হয়, তাদের হাতেই জন্ম নেয় বাংলাদেশের প্রথম ব্যান্ড আইওলাইটস। হোটেল শাহবাগ ও ঢাকা ক্লাবে নিয়মিত পারফর্ম করে ব্যান্ড দলটি। ১৯৬৫ সালে প্রথম ব্যান্ড হিসেবে টিভিতেও পারফর্ম করে ব্যান্ডটি। আইওলাইটসের সমকালীন আরেকটি ব্যান্ডের জন্ম চট্টগ্রামে। নাম জিংগা শিল্পগোষ্ঠী। সঙ্গীতবোদ্ধা ও ইতিহাস রচয়িতাদের মতে 'জিংগা' একটি পারিবারিক ঘরানার ব্যান্ড। কারও কারও মতে, এটি বাংলাদেশের প্রথম ব্যান্ড। এমনকি ইন্টারনেট ও কোনো কোনো ইতিহাস রচয়িতাও জিংগাকে এ দেশের প্রথম ব্যান্ড বলে থাকেন। তবে জিংগাকে দেশের প্রথম ব্যান্ড বলার বিশেষ কোনো তথ্য-প্রমাণ মেলে না। এ দলের গায়ক \"ওমর খালেদ রুমী\" পরবর্তীকালে আরেকটি ব্যান্ডের হয়ে বাংলায় গান করা শুরু করেন। সে বিচারে বলা যায়, তিনিই প্রথম বাংলা গানের ব্যান্ডশিল্পী। জিংগার পর চট্টগ্রামে জন্ম নেয় আরেক ব্যান্ড লাইটনিংস। ১৯৬৭ সালে ফরিদ রশীদ, নিওম্যান্ডেজ, নোয়েল ও শাকিল গড়ে তোলেন \"লাইটনিংস\" ব্যান্ডটি। তাদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে মাহমুদ, তোতা, চিত্রনায়ক জাফর ইকবাল ও ফারুক মিলে ব্যান্ড গঠন করেন \"র্যাম্বলিং স্টেনস\"। দুটি ব্যান্ডই তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে বিপুল জনপ্রিয়তা পায়। একই বছরে গঠিত হয় \"উইন্ডি সাইট অব কেয়ার\" ব্যান্ড। ১৯৬৮ সালে হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টালে আইওলাইটস, উইন্ডিসাইট অব কেয়ার, র্যাম্বলিং স্টোনস ও লাইটনিংস একটি প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। প্রতিযোগিতায় শ্রেষ্ঠ ব্যান্ড নির্বাচিত হয় উইন্ডি সাইট অব কেয়ার। এ ব্যান্ডগুলোর পাশাপাশি ১৯৬৬ সালে নারায়ণগঞ্জে জন্ম নেওয়া 'বকলম' ব্যান্ডটি বেশ জনপ্রিয়তা পায়। ১৯৬৯ সালে প্রতিষ্ঠা পায় \"ফায়ার অ্যান্ড আইস\" ব্যান্ডটি। ১৯৬৯ সালে প্রথম ভাঙনের কবলে পড়ে র্যাম্বলিং স্টোনস। এ ব্যান্ডের সদস্যরা আলাদা হয়ে গিয়ে তৈরি করে নতুন ব্যান্ড 'টাইম গো মোশন'। এরপরই দেশের প্রথম ব্যান্ড আইওলাইটসের ভাঙন ধরে। ড্রামার সাব্বির এবং রিদম গিটারিস্ট রফিক ব্যান্ড ছেড়ে দেওয়ায় এটি ভেঙে যায়।\nস্বাধীনতার পরে ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় \"আগলি ফেসেস\" ও \"আন্ডার গ্রাউন্ড পিস লাভারস\" নামের দুটি ব্যান্ড। বিতর্ক আছে স্বাধীনতার পর জন্ম নেওয়া প্রথম ব্যান্ড নিয়ে। কারও কারও মতে, 'আন্ডার গ্রাউন্ড পিস লাভারস' স্বাধীনতা-পরবর্তী প্রথম ব্যান্ড। দেশের প্রথম ব্যান্ড বিতর্কের পর, স্বাধীনতা-পরবর্তী প্রথম ব্যান্ড বিতর্কের এ ব্যান্ডটির উদ্যোক্তা ওমর খালেদ রুমী। ব্যান্ডে তার সঙ্গী ছিলেন সালাউদ্দিন, সাজ্জাদসহ আরও বেশ ক'জন। অধিকসংখ্যকের মতের ভিত্তিতে \"আগলি ফেসেস\" ব্যান্ডকেই প্রথম ব্যান্ড ধরা হয়েছে। এটি গঠন করেছিলেন ল্যারী, সাকী, কামাল ও রেজা নামের চার তরুণ। স্বাধীনতা-পরবর্তী প্রথম ব্যান্ডের স্বীকৃতি না পেলেও প্রথম কনসার্ট আয়োজন করে \"আন্ডার গ্রাউন্ড পিস লাভারস\"। ১৯৭২ সালে ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশনে ব্যান্ডটি প্রথম টিকিট কনসার্ট করে। ১৯৭২-৭৩ সালের আগ পর্যন্ত ব্যান্ডগুলো ইংরেজি গান পরিবেশন করত। বাংলা গানে আগ্রহী হয়ে ফেরদৌস ওয়াহিদ ও ফিরোজ সাঁইসহ কয়েকজন বন্ধু মিলে গঠন করেন 'স্পন্দন' নামের একটি ব্যান্ড। ব্যান্ডের 'এমন একটা মা দে না' গানের সুবাদে তুমুল জনপ্রিয় হয় ব্যান্ডটি। এ সময় উচ্চারণ ব্যান্ড নিয়ে আবির্ভাব ঘটে পরবর্তীকালের গুরু খেতাব পাওয়া শিল্পী আজম খানের। 'ঋষিজ শিল্পীগোষ্ঠী' নিয়ে আসেন ফকির আলমগীর। ১৯৭৩-৭৪ সালে ফেরদৌস ওয়াহিদের গানের পাশাপাশি আজম খানের 'রেলাইনের ঐ বস্তিতে', 'ওরে সালেকা ওরে মালেকা', 'আলাল ও দুলাল'; ফিরোজ সাঁইর 'ইশকুল খুইলাছে রে মওলা' এবং ফকির আলমগীরের 'ও সখিনা' গানগুলো সারা বাংলায় আলোড়ন তোলে। পরবর্তীকালে এ চার শিল্পীর সঙ্গে পিলু মমতাজ যোগ দেন এবং পাঁচপীর নাম নিয়ে উচ্চারণ ব্যান্ডের সঙ্গে তারা পারফর্ম করতে থাকেন। কিন্তু পঞ্চশিল্পীর কাউকেই ব্যান্ড নিয়ে খুব বেশিদূর এগিয়ে যেতে দেখা যায়নি। এককভাবে পরিচিতি গড়তেই তাদের আগ্রহী দেখা গেছে। এরপরে আগমন ঘটে পপ রক ব্যান্ডগুলোর। সোলস [১৯৭৩], ফিডব্যাক টুয়েন্টিথ সেঞ্চুরি [১৯৭৬], বালার্ক [১৯৭৬], অ্যাবনরমাল থ্রি প্লাস [১৯৭৬], মাইলস [১৯৭৯]-এর মতো ব্যান্ডগুলো বাংলা গানে পাশ্চাত্যের ছোঁয়া নতুন রূপরেখা তৈরি করে। ১৯৭২ সালের সুরেলা সঙ্গীত দল বিবর্তিত হয়ে গঠন করা সোলস বাংলাদেশের সবচেয়ে দীর্ঘায়ু ব্যান্ড। মন শুধু মন ছুঁয়েছে, আগের জনম, এ এমন পরিচয়, কেন এই নিঃসঙ্গতা, চায়ের কাপে পরিচয় ইত্যাদি অসংখ্য জনপ্রিয় গান এ ব্যান্ডকে আজও সজীব রেখেছে। আশির দশকে বালর্ক ছেড়ে হ্যাপী আখন্দ, ইমতিয়াক, কামাল, ল্যারীর প্রতিষ্ঠা করা ব্যান্ড মাইলসে যোগ দেন হামিন ও শাফিন আহমেদের মতো সেকাল-একালের জনপ্রিয় শিল্পীদ্বয়। এ সময়ে মানাম, জুয়েল ও তূর্যকে সাথী করে হামিন ও শাফিন রচনা করেছেন জনপ্রিয় তার নতুন ইতিহাস। ফিরিয়ে দাও, চাঁদ তারা সূর্য, জ্বালা জ্বালা, কি জাদু, ধিকি ধিকি আগুন জ্বলেসহ অজস্র জনপ্রিয় গানে সমৃদ্ধ ব্যান্ড মাইলস। ১৯৭৬ সালের 'ফিডব্যাক টুয়েন্টিথ সেঞ্চুরি' কালের হাওয়া রূপান্তরিত হয়ে দেশের শীর্ষস্থানীয় জনপ্রিয় ব্যান্ড 'ফিডব্যাক'-এ। মেলা, মৌসুমী, চিঠি, পালকী, দেহঘড়ির মতো আকাশচুম্বী জনপ্রিয় গান নিয়ে দীর্ঘ পথ মাড়িয়েছে ফিডব্যাক। ১৯৮৪ সালে মেটাল গান নিয়ে শ্রোতার মধ্যে আসে ওয়েভস। কিন্তু একই সময়ে স্কুলপড়ূয়া সঞ্জয়, বাবনা, টিপু, রাসেল, কমলের মতো জন্ম নেওয়া ব্যান্ড 'ওয়ারফেইজ' সময়ের ব্যবধানে হয়ে ওঠে সবচেয়ে জনপ্রিয় \"হেভি মেটাল ব্যান্ড\"। অবাক ভালোবাসা, জীবনধারা, একটি ছেলে, সময়, অসামাজিকসহ অসংখ্য জনপ্রিয় মেটাল ও হার্ডরক গানের স্রষ্টা ওয়ারফেইজ।\nএ সময়েই উইনিং,আর্টসেল,অর্থহীন,অবসকিওর প্রমিথিউস, চিরকুট,ফিলিংস, আর্ক, চাইম, ডিফরেন্ট টাচ, সিম্ফনি, তির্যক, পেপার রাইম, এলআরবি, বাংলা, দলছুট,শিরোনামহীন, রেনেসাঁ,দ্য কিট, অরবিট, ফেইথ, রকস্ট্রাটা, ইন ঢাকা, সাডেন ও নোভার মতো জনপ্রিয় ব্যান্ডগুলোর জন্ম। নব্বই দশকের সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্যান্ড এলআরবি সেই তুমি, রূপালি গিটার, সাড়ে তিন হাত মাটি, ফেরারি মন, এখন অনেক রাতসহ অজস্র গান নিয়ে দেশজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি করে। অন্যদিকে ফিলিংস [পরবর্তীকালে নগরবাউল] ব্যান্ড পথ, জেল থেকে বলছি, তারায় তারায়, যাত্রা, দুষ্টু ছেলের দল, বিজলী ইত্যাদি গান নিয়ে দর্শক মাতিয়েছে। আর্ক_ একাকী, সুইটি , প্রেম তুমি; দলছুট_ বাজি, তোমাকেই বলে দেব, ফিরে পেতে চাই; উইনিং_ সোনার মেয়ে, ইচ্ছে করেসহ আরও অনেক গান নিয়ে শ্রোতার মনোযোগ কাড়ে।"
] | [
"সোহিনী আলম\n২০০৭ সালে অলিভার উইক’স এর সাথে সোহিনী ““ক্ষ”” নামের একটি ব্যান্ড গঠন করে। এই ব্যান্ডের অন্যান্য সদস্যরা হলেন, বেন হিলইয়ার্ড এবং ডেরেল স্ক্রাল। “ক্ষ” ব্যান্ড হারানো দিনের গানগুলো সমসাময়িক সুরে পরিবেশন করত। এই ব্যান্ডটি “অর্নব” সাথে ২০০৮ সালে “দৃষ্টিপাত” এর আয়োজনে লন্ডনে একটি কনসার্ট করে। “ক্ষ” তার প্রথম এলবামের জন্য কাজ করে এবং ২০১২ সালের মার্চে তারা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের “আমার সোনার বাংলা” গানটি প্রথমে বের করে। ২০১২ সালে র ডিসেম্বরে, এই গানের ভিডিও প্রকাশ করা হয়। যা বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিশেষ করে বাংলাদেশী সংবাদপত্র, টেলিভিশন চ্যানেল এবং রেডিওসহ অন্যান্য গণমাধ্যমে স্থান পায়। এর ফলে বাংলাদেশের প্রখ্যাত সঙ্গীত শিল্পীরা ব্যান্ডের এই গান নিয়ে অনেক আলোচনা করে, যা কিনা বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত। ২০১৩ সালের এপ্রিলে, “ক্ষ” ব্যান্ড “অ্যালকেমী ফেস্টিভ্যল” –এর অংশ হিসেবে সাউথ ব্যাঙ্ক সেন্টারের পার্সেল হলে সঙ্গীত পরিবেশন করে।",
"নোভা (বাংলাদেশের ব্যান্ড)\nনোভা বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় ব্যান্ড। এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য আহমেদ ফজল করিম। ৮০'র দশকের শেষ ভাগে এই ব্যান্ডের আত্মপ্রকাশ। প্রথম অ্যালবামের নাম আহবান। অ্যালবমের আহবান গান টি তখন ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। মাদক বিরোধী এই গান সে সময় সরকারের কাছ থেকে বিশেষ পুরস্কার লাভ করে। দ্বিতীয় অ্যালবামে স্থান পায় বেশ কয়েকটি বক্তব্যধর্মী গান। এর মধ্যে একটি ছিল \"রাজাকারের তালিকা চাই\" শীর্ষক গান। গান টি পিঙ্ক ফ্লয়েড এর বিখ্যাত গান অ্যানাদার ব্রিক ইন দ্য ওয়াল এর আদলে গাওয়া।",
"আইয়ুব বাচ্চু\nতিনি এল আর বি ব্যান্ড গঠন করেন ১৯৯১ সালের ৫ এপ্রিল যার পুরো নাম ‘লিটল রিভার ব্যান্ড’, পরে করা হয় ‘লাভ রানস ব্লাইন্ড’। ব্যান্ডের সাথে তার প্রথম ব্যান্ড অ্যালবাম এবং বাংলাদেশের প্রথম দ্বৈত অ্যালবাম 'এল আর বি' প্রকাশিত হয় (১৯৯২)। এই অ্যালবামের \"শেষ চিঠি কেমন এমন চিঠি\", \"ঘুম ভাঙ্গা শহরে\", \"হকার\" গানগুলো জনপ্রিয়তা লাভ করে। এরপর তার দ্বিতীয় ও তৃতীয় ব্যান্ড অ্যালবাম \"সুখ\" ও \"তবুও\" বের হয় (১৯৯৩ ও ১৯৯৪)। সুখ অ্যালবামের \"সুখ, \"চলো বদলে যাই\", \"রূপালি গিটার\", \"গতকাল রাতে\" উল্লেখযোগ্য গান। \"চলো বদলে যাই\" বাংলাদেশের সঙ্গীত জগতে অন্যতম জনপ্রিয় একটি গান। গানটির কথা লিখেছেন ও সুর করেছেন বাচ্চু নিজেই। এছাড়া তার তৃতীয় একক অ্যালবামটি ছিলো 'কষ্ট' (১৯৯৫)। সর্বকালের সেরা একক অ্যালবামের একটি বলে অভিহিত করা হয় এটিকে। এই অ্যালবামের প্রায় সবগুলো গানই জনপ্রিয়তা পায়। বিশেষ করে \"কষ্ট কাকে বলে\", \"কষ্ট পেতে ভালোবাসি\", \"অবাক হৃদয়\", ও \"আমিও মানুষ\"। একই বছর তার চতুর্থ ব্যান্ড অ্যালবাম \"ঘুমন্ত শহরে\" প্রকাশিত হয়। তিনি অনেক বাংলা ছবিতে প্লেব্যাক করেছেন। \"অনন্ত প্রেম তুমি দাও আমাকে\" বাংলা ছবির অন্যতম একটি জনপ্রিয় গান। এটি তাঁর গাওয়া প্রথম চলচ্চিত্রের গান।",
"আর্ক\nআর্ক বাংলাদেশের একটি রক ব্যান্ড যা প্রতিষ্ঠা করেন আশিকুজ্জামান টুলু। ১৯৯৬ সালে ব্যান্ডে যোগ দেন গায়ক হাসান। তারপর ৯০ দশকের শেষের দিকে পঞ্চম, হাসান ও আশিকুজ্জামান টুলুর আর্ক ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে। বাংলাদেশের রক সঙ্গীতকে জনপ্রিয় করে তুলতে আর্ক বিশেষ ভূমিকা রাখে এল আর বি, মাইলস, নগর বাউল ব্যান্ডের সাথে। ২০০০ সালে হাসান ব্যান্ড ছেড়ে দিয়ে নতুন ব্যান্ড স্বাধীনতা গঠন করেন ।২০০৪ সালে তিনি জন্মভূমি নামের আরেকটি ব্যান্ড গঠন করেন।",
"রেনেসাঁ (ব্যান্ড)\nরেনেসাঁ বাংলাদেশের একটি অন্যতম জনপ্রিয় ব্যান্ড যা ১৯৮৫ সালে গঠিত হয়।এই ব্যান্ডের সবাই ছোটবেলা থেকে গান করছেন বা বাদ্যযন্ত্র বাজাচ্ছেন ।১৯৮৫ সালে নকীব খান সোলস ছেড়ে ঢাকায় আসার পর এই ব্যান্ড গঠন করেন। গঠনের পর তাদের মধ্যে চলছিল ব্যাপক আলোচনা, গানের কাঁটাছেড়া, যোগ-বিয়োগ। নকীব খান বলেন- ‘তখন দেশে রক গানের জোয়ার চলছে। আমরা চাচ্ছিলাম সেখান থেকে বেরিয়ে এসে নতুন কিছু করতে। মেলোডিয়াস, শক্তিশালী লিরিকস নিয়ে বাংলা গান করতে আমাদের দারুণ আকাংঙ্খা হচ্ছিল।’ \nরেনেসাঁর অন্যতম সদস্য নকীব খান বলেন, ‘যেহেতু আমরা সবাই চাকরি নিয়ে ব্যস্ত থাকি তাই একটু সময় নিয়ে অ্যালবামের কাজগুলো করতে হয়। তা ছাড়া আমাদের ব্যান্ডের সবাই গানের ব্যাপারে খুবই সিরিয়াস। গানের গুণগত মানের ব্যাপারে আমরা কখনোই আপস করতে রাজি নই।’ নকিব খান ও পিলু খান টু বি কনটিনিউড... নামের একটি ছবিতে ‘তোমার কষ্টের চিৎকারে জন্ম নিলাম আমি’ শিরোনামের গান গেয়েছেন যে ছবিটি পরিচালনা করছেন ইফতেখার ফাহিম। ২০০৯ সালে এবিসি রেডিওর ঈদ আনন্দ আয়োজনে স্টুডিও কনসার্টে অংশ নেয় রেঁনেসা ব্যান্ড।",
"ফসিলস্ (ব্যান্ড)\nরুপম ইসলাম ১৯৯৮ সালে ব্যান্ডটি গঠন করেন। তিনি একজন লাভ জিহাদি । প্রথম স্টেজ শো হয় ৯ জানুয়ারি ১৯৯৯, কলকাতায়। এই শোতে দীপ ঘোষ গিটার বাজিয়েছিলেন। দীপ, ব্যান্ডটির নাম ফসিল্স রাখেন। নামটি রুপমের একটি লেখার থেকে অনুপ্রণিত, \"খোড়ো আমার ফসিল, অনুভূতির মিছিল প্রতিক্রিয়াশীল কোনো বিপ্লবে\"। ব্যান্ডের নাম ফসিলস হওয়ার কারণ প্রসঙ্গে রূপম বললেন, “রক গান তখন শ্রোতারা খুব একটা গ্রহণ করছিল না। তার পরও আমরা রক গান নিয়েই এগিয়েছি। আমাদের কাছে রক মিউজিককে মনে হয়েছিল আগামী প্রজন্মের গান। নানা ধরনের চাপ নিতে নিতে লিখেছিলাম খোঁড়ো আমার ফসিল, অনুভূতির মিছিল/প্রতিক্রিয়াশীল কোনো বিপ্লবে, শোনো তুমি কি আমার হবে?। এখান থেকেই ফসিলস নামটা নির্বাচন করা হয়। ফসিলসের অনুপ্রেরণা ছিল বাংলাদেশের রক ঘরানার মিউজিক।”",
"অর্থহীন (ব্যান্ড দল)\nঅর্থহীন বাংলাদেশের অন্যতম একটি ব্যান্ড। এই ব্যান্ডের প্রতিষ্ঠাতা এবং দলনেতা সুমন। ১৯৯৯ সালে শুরু হওয়া এই ব্যান্ডের এখন পর্যন্ত ৭টি অ্যালবাম প্রকাশিত হয়েছে। তাদের প্রথম অ্যালবাম ত্রিমাত্রিক প্রকাশিত হয় ২০০০ সালের এপ্রিল মাসে। শুরু থেকেই অত্যন্ত জনপ্রিয় এই ব্যান্ডের সবগুলো অ্যালবামই বেস্ট সেলিং হয়েছে। এখন পর্যন্ত তাদের শেষ অ্যালবাম ক্যানসারের নিশিকাব্য প্রকাশিত হয় ২০১৬ সালে। মূলত রক ব্যান্ড হলেও তারা এখন হেভি মেটাল গানও করছে।",
"অবসকিওর (বাংলা ব্যান্ড)\nঅবসকিওর বাংলাদেশের ব্যান্ড সঙ্গীতের ইতিহাসের অন্যতম একটি ব্যান্ড। আশির দশকে সাইদ হাসান টিপু এই ব্যান্ডটি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেন। ১৯৮৫ সালের ১৫ মার্চ খুলনায় অবসকিউর প্রতিষ্ঠা করেন টিপু। \nআশির দশকে সারগাম স্টুডিও থেকে অবসকিওরের প্রথম অ্যালবাম প্রকাশিত হয়। ১৯৮৬ সালের সেই সেলফ টাইটেল প্রথম \"অবসকিওর ভলিউম ১\" ব্যান্ডের অ্যালবাম বাংলা ব্যান্ড সঙ্গীতের ইতিহাসে চিরঠাই করে নেয়। সেই অ্যালবামের আলোচিত ১২ টি গানের মধ্যে অন্যতম হল \"মাঝরাতে চাঁদ\", \"ভণ্ড বাবা\", \"মমতায় চেয়ে থাকা\" ইত্যাদি। ১৯৯০ সালে বের হয় ২য় অ্যালবাম, সেটিও ছিল সেলফ টাইটেলড । এই অ্যালবামে \"তুমি ছিলে কাল রাতে\", \"আধার ঘেরা স্বপ্ন\", \"সন্ধ্যা আকাশ\" গান আলোচিত জয়। ৯৩/৯৪ সালে প্রকাশিত হয় রকিং ঘরণার অ্যালবাম \"স্বপ্নচারিণী\"। এ পর্যন্ত ৯ টি অ্যালবাম প্রকাশিত হয়েছে অবসকিওরের। সর্বশেষ প্রকাশিত হয় \"অবসকিওর ও বাংলাদেশ\"।"
] | 79 |
পুরুষদের জাতীয় ফুটবল ফিফা বিশ্বকাপ কত বছর অন্তর অনুষ্ঠিত হয় ? | [
"ফিফা মহিলা বিশ্বকাপ\nপুরুষদের বিশ্বকাপ ফুটবলের অনুরূপভাবে এটিও প্রতি চার বছর অন্তর এই বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। মহিলাদের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশীপ প্রতিযোগিতা নামের প্রথম বিশ্বকাপটি ১৯৯১ সালে অনুষ্ঠিত হয়। ২০১১ সালের প্রতিযোগিতায় জাপান পেনাল্টি শ্যুট আউটে জয়ী হয়ে ট্রফি লাভ করে। বর্তমানে প্রতি আসরের চূড়ান্ত পর্যায়ে ১৬টি দল খেলে থাকে।",
"ফিফা বিশ্বকাপ ফাইনালের তালিকা\nফিফা বিশ্বকাপ (ফুটবল বিশ্বকাপ নামেও পরিচিত) একটি আন্তর্জাতিক ফুটবল প্রতিযোগিতা, যেখানে ফিফা বা আন্তর্জাতিক ফুটবল সংস্থার সহযোগী দেশগুলোর পুরুষ জাতীয় ফুটবল দল অংশ নেয়। ফিফা বিশ্ব ফুটবল নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা। ১৯৩০ সালে এই প্রতিযোগিতা শুরু হয় এবং এখন পর্যন্ত চার বছর পর পর অনুষ্ঠিত হচ্ছে। মাঝে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণে ১৯৪২ ও ১৯৪৬ সালে এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়নি।"
] | [
"ফিফা অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপ\nফিফা অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপ হলো অনূর্ধ্ব-২০ পুরুষ খেলোয়াড়দের জন্য ফিফা কর্তৃক আয়োজিত একটি ফুটবল প্রতিযোগিতা।১৯৭৭ সালে তিউনিসিয়ায় প্রথম আসর অনুষ্ঠিত হয়।প্রতি দুই বছর অন্তর অন্তর এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। ২০০৫ সাল পর্যন্ত এটি \"ফিফা ইয়ুথ চ্যাম্পিয়নশিপ\" নামে পরিচিত ছিলো\n১৯৭৭ সালে শুরু হওয়া প্রতিযোগিতাটির এখন পর্যন্ত ২১ টি আসর অনুষ্ঠিত হয়েছে।প্রতিযোগিতায় শুধুমাত্র ২০ বছরের কম বয়সীরাই খেলতে পারবে।সবচেয়ে সফল দল আর্জেন্টিনা ছয়টি শিরোপা অর্জন করেছে।পাঁচটি শিরোপা নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে ব্রাজিল।সার্বিয়া ও পর্তুগালের দুইটি করে শিরোপা আছে।ঘানা,জার্মানি,ফ্রান্স,রাশিয়া(সোভিয়েত ইউনিয়ন হিসেবে),স্পেন ও ইংল্যান্ড একবার করে শিরোপা জিতেছে।",
"২০১৭ ফিফা অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপ\n২০১৭ ফিফা অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপ হচ্ছে ফিফা অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপের ১৭তম আসর। এটি একটি আন্তর্জাতিক পুরুষদের দ্বিবার্ষিক ফুটবল প্রতিযোগিতা। ১৭ টি জাতীয় দল এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছে। ফিফা কর্তৃক সংগঠিত, টুর্নামেন্ট ৬ অক্টোবর এবং ২৮ অক্টোবর ২০১৭ সালের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে। ৫ ই ডিসেম্বর ২০১৩ সালে ভারত এই ফুটবল বিশ্বকাপের আয়োজনের অধিকার পায়। এই টুর্নামেন্টটি প্রথমবারের মতো ভারত তথা দক্ষিণ এশিয়ার একটি ফিফা টুর্নামেন্ট এবং প্রথম এশীয় দ্বিতীয় আয়োজক অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপের ২০১৩ এর পর।",
"ফিফা বিশ্বকাপ\nফিফা বিশ্বকাপ () (ফুটবল বিশ্বকাপ, সকার বিশ্বকাপ, অথবা শুধু বিশ্বকাপ নামেও পরিচিত) একটি আন্তর্জাতিক ফুটবল প্রতিযোগিতা যেখানে ফিফা ( — উচ্চারণ: \"ফেদেরাসিওঁ অ্যাঁতের্নাসিওনাল্ দ্য ফুৎবল্ আসোসিয়াসিওঁ\", অর্থাৎ \"আন্তর্জাতিক ফুটবল সংস্থা\") সহযোগী দেশগুলোর পুরুষ জাতীয় ফুটবল দল অংশ নেয়। ফিফা বিশ্ব ফুটবল নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা। ১৯৩০ সালে এই প্রতিযোগিতা শুরু হয় এবং এখন পর্যন্ত চার বছর পর পর অনুষ্ঠিত হচ্ছে। মাঝে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণে ১৯৪২ ও ১৯৪৬ সালে এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়নি।",
"২০১০ ফিফা বিশ্বকাপ\n২০১০ ফিফা বিশ্বকাপ () হচ্ছে ফিফা বিশ্বকাপের ঊনিশতম আসর। ফিফা বিশ্বকাপ হচ্ছে বিশ্বের প্রধান ফুটবল প্রতিযোগিতা। এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয় ২০১০ সালের ১১ জুন থেকে ১১ জুলাই পর্যন্ত। বিশ্বকাপের এই আসরটির আয়োজক দেশ হচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ২০০৭ সালের আগস্ট মাস থেকে এই বিশ্বকাপের জন্য যোগ্য ৩২টি দল নির্বাচনের লক্ষ্যে ফিফার ছয়টি মহাদেশীয় কনফেডারশনগুলোতে বাছাইপর্ব শুরু হয়। এই বাছাইপর্বে ফিফার মোট ২০৮টি সদস্য দেশের জাতীয় পুরুষ ফুটবল দলের মধ্যে ২০৪টি দল অংশ নেয়। জার্মানিতে ২০০৬ সালের ফিফা বিশ্বকাপের শিরোপাধারী ইতালি এই বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হিসেবেই শুরু করে। এই বিশ্বকাপের সর্বশেষ ড্র অনুষ্ঠিত হয় ২০০৯ সালের ৪ ডিসেম্বর, দক্ষিণ আফ্রিকার কেপ টাউনে।",
"২০১৮ ফিফা বিশ্বকাপ\n২০১৮ ফিফা বিশ্বকাপ ২০১৮ ফিফা বিশ্বকাপের শিরোপা বিজয়ী দল ফ্রান্স (রুশ: Чемпионат мира по футболу 2018 \"চিম্পিওনাত মির্য প্য ফুতবোলু দ্ভি তিসিচি ভ্যসিম নাৎস্যত\") ছিল চতুর্বাষিক আন্তর্জাতিক ফুটবল প্রতিযোগিতা ফিফা বিশ্বকাপের ২১তম আসরের চূড়ান্ত পর্ব, যাতে আন্তর্জাতিক ফুটবল সংস্থা ফিফা-র অন্তর্ভুক্ত ৩২টি জাতীয় ফুটবল দল (পুরুষ) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে। প্রতিযোগিতাটি রাশিয়ায় ১৪ই জুন হতে ১৫ই জুলাই ২০১৮ তারিখ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর আগে ২রা ডিসেম্বর ২০১০ তারিখে অনুষ্ঠিত এক নিলামের মাধ্যমে রাশিয়াকে স্বাগতিক রাষ্ট্র হিসেবে নির্বাচন করা হয়।",
"ফিফা অনূর্ধ্ব-১৭ মহিলা বিশ্বকাপ\nফিফা অনূর্ধ্ব-১৭ মহিলা বিশ্বকাপ হল অনূর্ধ্ব ১৭ মেয়েদের জন্য আয়োজিত একটি আন্তর্জাতিক অ্যাসোসিয়েশন ফুটবল প্রতিযোগিতা, যা আন্তর্জাতিক ফুটবল নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা ফিফা কর্তৃক প্রতি দুই বছর পরপর অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিযোগিতাটি ২০০৮ সালে শুরু হয়েছিল। সর্বশেষ প্রতিযোগিতা ২০১৬ সালে জর্দানে অনুষ্ঠিত হয় এবং বর্তমান চ্যাম্পিয়ন হল জাপান।",
"আন্তর্জাতিক বাস্কেটবল সংস্থা\nপ্রতি চার বছর অন্তর বৈশ্বিক প্রতিযোগিতারূপে পুরুষদের ফিবা বাস্কেটবল বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৫০ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত এটি ফিবা বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশীপ নামে পরিচিত ছিল। ২০১৪ সাল থেকে ফিবা বাস্কেটবল বিশ্বকাপ আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করবে। বিশ্বকাপে অংশগ্রহণের জন্যে বাস্কেটবল ক্রীড়ার উদ্ভাবক জেমস নাইস্মিথকে সম্মান জানিয়ে নাইস্মিথ ট্রফি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী দলগুলোকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হয়। ফিবা প্রমিলা বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশীপও চার বছর অন্তর অনুষ্ঠিত হয় কিন্তু তা পৃথক দেশে।",
"২০১৬ ফিফা অনূর্ধ্ব-১৭ মহিলা বিশ্বকাপ\n২০১৬ ফিফা অনূর্ধ্ব-১৭ মহিলা বিশ্বকাপ হল যুব মহিলাদের জন্য ফিফা কর্তৃক আয়োজিত আন্তর্জাতিক ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ ফিফা অনূর্ধ্ব-১৭ মহিলা বিশ্বকাপের ৫ম আসর। প্রতিযোগিতা ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ২১ অক্টোবর ২০১৬ সালে জর্দানে অনুষ্ঠিত হয়। এটি ছিল রক্ষনশীল মধ্য প্রাচ্যের দেশে আয়োজিত প্রথম মহিলা বিশ্বকাপ। প্রতিযোগিতায় ১৬টি জাতীয় অনূর্ধ্ব ১৭ জাতীয় মহিলা ফুটবল দল অংশগ্রহণ করে এবং চ্যাম্পিয়ন হয় উত্তর কোরিয়া।"
] | 30 |
অতিস্থূলতার ইংরেজি পরিভাষাটি কী ? | [
"অতিস্থূলতা\nঅতিস্থূলতা (, ওবেসিটি) হলো শরীরের এক বিশেষ অবস্থা, এই অবস্থায় শরীরে অতিরিক্ত স্নেহ বা চর্বি জাতীয় পদার্থ জমা হয় এবং স্বাস্থ্যের ওপর এর ক্ষতিকারক প্রভাব পড়ে, ফলে আয়ু কমে যেতে পারে এবং একইসঙ্গে শারীরিক নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। বডি মাস ইনডেক্স (BMI) হলো শরীরের উচ্চতা ও ওজনের আনুপাতিক হার, যা দিয়ে বোঝা যায় যে কোনো ব্যক্তি মাত্রাধিক ওজন (pre-obese) বিশিষ্ট কিনা। যদি কারো বডি মাস ইনডেক্স (BMI) ২৫ kg/m থেকে ৩০ kg/mমধ্যে থাকে তখন তাকে স্থূলকায় বা মোটা বলা যেতে পারে, আর যখন বডি মাস ইনডেক্স (BMI) ৩০ kg/m বেশি থাকে তখন তাকে অতি স্থূলকায় বা অতিরিক্ত মোটা বলা হয়।"
] | [
"অতিস্থূলতার ব্যবস্থাপনা\nস্থূলতার ক্রমবর্ধমান হার সামাল দিতে পশ্চিমী বিশ্বের বেশিরভাগটাই ক্লিনিকাল প্র্যাক্টিস গাইডলাইন তৈরি করেছে। ২০০৪-এর পর থেকে অস্ট্রেলিয়া,[439] কানাডা,[440] ইউরোপীয় ইউনিয়ন,[441] ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র[442] সকলেই এব্যাপারে বিবৃতি প্রকাশ করছে। \nআমেরিকান কলেজ অব ফিজিসিয়ান্স দ্বারা প্রকাশিত ক্লিনিকাল প্র্যাক্টিস গাইডলাইনে নিম্নলিখিত পাঁচটি সুপারিশ করা হয়েছে:[444]\nইউ এস প্রিভেন্টিভ টাস্কফোর্স (USPSTF) প্রকাশিত একটি ক্লিনিকাল প্র্যাক্টিস গাইডলাইন-এ বলা হয়েছে যে নিয়মিত আচার ব্যবহার পরামর্শ দেওয়া বা তা না করার কথা বলার মতো যথাযথ তথ্যপ্রমাণ নেই, তবে স্বাস্থ্যসম্মত সাধারণ খাবার নেওয়ার কথা বলা যেতে পারে তবে যাদের হাইপারলিপিডেমিয়া আছে তাদের ব্যাপক স্বাস্থ্যসম্মত খাবার দেওয়ার কথা বলতে হবে এবং কার্ডিওভাস্কুলার ও ডায়েট সংক্রান্ত কঠিন ব্যাধির মতো অন্যান্য ঝুঁকির বিষয়গুলিও থাকবে। প্রাথমিক চিকিৎসক অথবা অন্য বিশেষজ্ঞ যেমন নিউট্রিশানিস্ট বা ডায়াটেশিয়ানরাই ব্যাপক পরামর্শ দিতে পারেন।[445][447]\n2006- এ কানাডা তথ্যভিত্তিক প্র্যাকটিস গাইডলাইন তৈরি করে তা প্রকাশ করে। সেই নির্দেশিকায় শিশু ও প্রাপ্তবয়স্ক উভয়ের মধ্যেই ব্যাক্তিগত ও জনসমষ্টি স্তরে স্থূলতা রোধ ও ঠেকানোর প্রচেষ্টার কথা বলা হয়।[448] ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন 2008 —এ ইউরোপে ক্রমবর্ধমান স্থূলতার হারবৃদ্ধি ঠেকাতে ক্লিনিকাল প্র্যাক্টিস নির্দেশিকা প্রকাশ করে।[449] 2004 -এ অস্ট্রেলিয়াও এমন একটি নির্দেশিকা প্রকাশ করে।[450]\n[451]",
"ঐকতান-বাদকদল\nইংরেজি \"অর্কেস্ট্রা\" পরিভাষাটি গ্রিক শব্দ ὀρχήστρα থেকে এসেছে, প্রাচীন গ্রীক মঞ্চের সামনের সারি গ্রিক ঐকতান-গায়কদের জন্য সংরক্ষিত থাকত।",
"অতিস্থূলতা\nবহু দেশ ও গোষ্ঠী স্থূলতা সংক্রান্ত রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। ১৯৯৮–এ প্রথম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রীয় নির্দেশিকা প্রকাশিত হয়, যার শিরোনাম ছিল ‘ক্লিনিকাল গাইডলাইনস অন দ্য আইডেন্টিফিকেশন ইভলিউশন অ্যাণ্ড ট্রিটমেন্ট অব ওভারওয়েট অ্যাণ্ড ওবেসিটি ইন অ্যাডাল্টস: দ্য এভিডেন্স রিপোর্ট’।] ২০০৬—এ কানাডিয়ান ওবেসিটি নেটওয়ার্ক ‘কানাডিয়ান ক্লিনিকাল প্র্যাক্টিস গাইডলাইনস (CPG) অন দ্য ম্যানেজমেন্ট অ্যাণ্ড প্রিভেনশন অব ওবেসিটি ইন অ্যাডাল্টস অ্যাণ্ড চিল্ডরেন’প্রকাশ করে। প্রাপ্তবয়স্ক ও শিশুদের মধ্যে অতিওজন ও স্থূলতা রুখতে এটি হলো একটি সুসংহত তথ্যপ্রমাণ ভিত্তিক নির্দেশিকা।",
"অদিতি মিত্তল\nঅদিতি হিন্দি ও ইংরেজি ভাষায় পটু। পাশাপাশি ফরাসি ও স্প্যানিশ ভাষায় তার দখল রয়েছে। তিনি মনে করেন হাস্যরস মানুষকে আকৃষ্ট করার অন্যতম উপায়। তিনি টিনা ফে ও কারস্টেন উইগের ভক্ত এবং তাদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে তিনি নিউ ইয়র্কে তার চাকরী ছেড়ে দিয়ে ভারতে চলে আসেন ও কৌতুকাভিনয় শুরু করেন। তিনি নিজে নিজে প্রশিক্ষন নেন এবং কৌতুকাভিনয় শুরু করেন। বর্তমানে মিত্তল ভারতে ভারতীয় ও ইংরেজি ভাষার কৌতুকাভিনয়ের জনপ্রিয় মুখ। ২০০৯ সালে তিনি যুক্তরাজ্য ভিত্তিক 'দ্য কমেডি স্টোর' আয়োজিত সেসময়ের ভারতের একমাত্র স্ট্যান্ড-আপ কমেডি শো লোকাল হিরোসের প্রথম পাঁচজনের একজন হন। বর্তমানে তিনি নিয়মিত 'ক্যানভাস লাফ ফ্যাক্টরি', 'কমেডি স্টোর মুম্বাই' এবং ভারতের বিভিন্ন স্থানে ও উৎসবে, যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন ক্লাবে ও লস এঞ্জেলসের লাফ ফ্যাক্টরিতে কৌতুক পরিবেশন করেন।",
"অতিস্থূলতার ব্যবস্থাপনা\nসিঁড়ি ভাঙায় উত্সাহিত করার পাশাপাশি সমবেত প্রচার চলতে থাকলে জনগণের মধ্যে কায়িক শ্রম করার মানসিকতা বৃদ্ধি পায়। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়, কলম্বিয়ার বোগোটা শহরে প্রতি রবিবার ও ছুটির দিন শহরবাসী যাতে শারীরিক কসরত করতে পারে তারজন্য ১১৩কিলোমিটার (৭০ মাইল) দীর্ঘ রাস্তা কার্যত বন্ধ করে দেওয়া হয়। দীর্ঘস্থায়ী ও কঠিন রোগ, স্থূলতাকে মোকাবিলা করতেই পথচারীদের জন্য ঐ রাস্তা উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।",
"এ-লাইন\nএ-লাইন () হচ্ছে এক প্রকার স্কার্ট, যা হিপের কাছে আটোসাটো থেকে হাঁটুর কাছে এসে ক্রমশ প্রশস্ত হয়, এবং ইংরেজি বর্ণমালার ‘এ’ (A)-এর আকৃতি ধারণ করে। এই পরিভাষাটি এ আকৃতির অন্যান্য পোশাককে বর্ণনা করতেও ব্যবহৃত হয়।",
"অতিস্থূলতার ব্যবস্থাপনা\nঅতিস্থূলতা রোগের প্রধান চিকিৎসার মধ্যে রয়েছে খাদ্যাভ্যাস এবং শারীরিক কসরত। খাদ্যাভ্যাস কর্মসূচীর ফলে অল্প সময়ের মধ্যে ওজন হারানো সম্ভব, কিন্তু এই ওজনকে ওইভাবে কমিয়ে রাখা সমস্যার হতে পারে এবং মাঝে মাঝেই শারীরিক কসরতের প্রয়োজন পড়তে পারে। একইসঙ্গে কম ক্যালোরিযুক্ত খাবার ঐ ব্যক্তির জীবনশৈলীর চিরদিনের অংশ হয়ে যেতে পারে। ওজন কমিয়ে তা দীর্ঘ সময়ের জন্য বজায় রাখার ক্ষেত্রে সাফল্যের হার খুবই কম. এই সাফল্যের হার হলো ২—২০শতাংশ।",
"অতিস্থূলতার ব্যবস্থাপনা\nযদিও আরও অনেক নির্দিষ্ট কাঠামোর প্রেক্ষাপটে ৬৭%মানুষ রয়েছেন যারা এক য়ছর ধরে তাদের শারীরিক ওজন ১০%রও বেশি কমিয়ে যেতে অথবা ওজন কমানোর ধারা বজায় রাখতে পারছেন। 3কেজি (৬.৬ পাউণ্ড) বা তার বেশি ওজন অথবা সম্পূর্ণ শারীরিক ভরের ৩% কমানোর গড় বজায় রাখা যেতে পারে পাঁচ বছর পর্যন্ত।",
"অতিস্থূলতা\nলাতিন ওবিসিটাস শব্দ থেকে ওবিসিটি শব্দটি এসেছে। লাতিনে ওবিসিটাস-এর মানে হলো ‘মজবুত, মোটা অথবা নধর’। Ēsus হলো edere-র পাস্ট পার্টিসিপল রূপ (খেতে), সঙ্গে ob (বেশি) এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। অক্সফোর্ড ডিকশনারি তে উল্লেখ করা হয়েছে যে ১৬১১ নাগাদ এর প্রথম ব্যবহার করেছিলেন র্যাণ্ডেল কটগ্রেভ, এটি ব্যবহার করা হয়েছিল এ ডিকশনারি অব দ্য ফ্রেঞ্চ অ্যাণ্ড ইংলিশ টাঙস।[\nগ্রীকরাই প্রথম স্থূলতাকে চিকিৎসা সংক্রান্ত গোলমাল হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। হিপোক্রেটিস বলে গেছেন যে ‘অত্যধিক স্থূলতা কেবলমাত্র একটা রোগই নয়, বরং অন্য রোগের অগ্রদূত’’। যতদূর জানা যায় ভারতীয় শল্য চিকিৎসক সুশ্রুত (খ্রীষ্টপূর্ব ষষ্ঠ শতক)-ই ডায়াবেটিস ও হৃদযন্ত্রের গোলমালের সঙ্গে স্থূলতার যোগাযোগের কথা তুলে ধরেন। এই রোগ ও এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার চিকিৎসায় শারীরিক কসরত সাহায্য করার কথা তিনিই সুপারিশ করেন।",
"অতিস্থূলতার ব্যবস্থাপনা\nঅত্যন্ত কম ক্যালোরির খাদ্য থেকে দৈনিক ২০০—৮০০ক্যালোরি পাওয়া যায়। চর্বি এবং কার্বোহাইড্রেট এই দুই থেকেই ক্যালোরি গ্রহণকে নিয়ন্ত্রণ করে প্রোটিন গ্রহণকে বজায় রাখে। তারা শরীরকে অনাহারে রেখে দেয় এবং গড়ে প্রত্যেক সপ্তাহে গড়ে ১.৫—২.৫কিলোগ্রাম (৩.৩—৫.৫পাউণ্ড) ওজন কমায়। সাধারণভাবে ব্যবহারের জন্য এই খাদ্য সুপারিশ করা হয় না। কারণ এর সঙ্গে অনেক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া জড়িয়ে আছে। যেমন সরু মাংসপেশী হারানো, গাউটের ঝুঁকি বেড়ে যাওয়া এবং ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্য কমে যাওয়া। যে সমস্ত মানুষ এই ধরনের খাদ্যভ্যাস করছেন তাদের অবশ্যই খুব ঘনিষ্ঠভাবে চিকিত্সকের তত্ত্বাবধানে থাকা উচিত যাতে যে কোনো রকম জটিলতা কমানো যায়।"
] | 16 |
চীনের বিখ্যাত মহাপ্রাচীর কবে তৈরী হয় ? | [
"চীনের মহাপ্রাচীর\nচীনের মহাপ্রাচীর () পাথর ও মাটি দিয়ে তৈরি দীর্ঘ প্রাচীর সারি। এগুলি খ্রিস্টপূর্ব ৫ম শতক থেকে খ্রিস্টীয় ১৬শ শতক পর্যন্ত চীনের উত্তর সীমান্ত রক্ষা করার জন্য তৈরি ও রক্ষাণাবেক্ষণ করা হয়। এরকম অনেকগুলি প্রাচীর তৈরি করা হয়েছিল, তবে ২২০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ থেকে ২০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দের মধ্যবর্তী সময়ে চীনের প্রথম সম্রাট কিন শি হুয়াঙের অধীনে নির্মিত প্রাচীরটিই সবচেয়ে বিখ্যাত। এটি বর্তমান প্রাচীরের অনেক উত্তরে অবস্থিত এবং এর খুব সামান্যই অবশিষ্ট আছে। বর্তমান প্রাচীরটি মিং রাজবংশের শাসনামলে নির্মিত হয়।"
] | [
"চীনের মহাপ্রাচীর\nচীনের মহাপ্রাচীর মানুষের হাতে তৈরি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় স্থাপত্য। এই প্রাচীর প্রায় ৫ থেকে ৮ মিটার উচু এবং ৮৮৫২ কিলোমিটার লম্বা। এটি শুরু হয়েছে সাংহাই পাস এবং শেষ হয়েছে লোপনুর নামক স্থানে।",
"চীনের মহাখাল\nমহাখাল বা \"বেইজিং-হাংচৌ গ্র্যান্ড খাল\" (জিং-হান দা ইউনহে) হল বিশ্বের দীর্ঘতম এবং প্রাচীনতম খাল বা কৃত্রিম নদী এবং এটি চীনের একটি বিখ্যাত পর্যটক গন্তব্য। মহাখাল ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে স্বীকৃত। বেইজিং থেকে শুরু করে এটি থিয়েনচিন এবং হপেই, শানতুং, চিয়াংসু ও চচিয়াং প্রদেশের হাংচৌ শহরের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে হুয়াংহো নদী এবং ছাং চিয়াং নদীকে সংযুক্ত করে। খালের প্রাচীনতম অংশটি খ্রিস্টপূর্ব ৫ম শতাব্দীতে নির্মিত, তবে খালের বিভিন্ন অংশগুলো প্রথম সুই রাজবংশের সময় সংযুক্ত ছিল (৫৮১-৬১৮ খ্রি.)। ১২৭১-১৬৩৩ সালে রাজবংশগুলো উল্লেখযোগ্যভাবে খালের পুনঃনির্মাণ করে এবং তাদের মূলধন বেইজিংয়ে সরবরাহ করার জন্য তার রুট পরিবর্তন করে।",
"চারটি মহা উদ্ভাবন\nএকাদশ শতকে উত্তর চীনে ছাপানোর প্রযুক্তি আরও উন্নত হয়। কেননা সং সাম্রাজ্যের বিজ্ঞানী ও সরকারি কর্মকর্তা শেন কুও-এর (১০৩১-১০৯৫) লেখনী থেকে বোঝা যায় যে, সেসময়ে বিখ্যাত শিল্পী বি শেং (৯৯০-১০৫১) সিরামিক দিয়ে ছাপার কাজে প্রতিস্থাপনযোগ্য যন্ত্র তৈরি করে করেন। এরপর ছিলেন ওয়াং চেন (অফিসিয়াল) (এফএল. ১২৯০-১৩৩৩) যিনি কাঠে অক্ষর স্থাপন আবিষ্কার করেন যা পরবর্তীতে কোরিয়ায় প্রতিস্থাপনযোগ্য ধাতব প্রিন্টিং-এর (১৩৭২-১৩৭৭) উন্নয়ন ঘটায়। একটি বা অল্প কয়েকটি বই ছাপানোর জন্য এই পদ্ধতি অত্যন্ত ধীরগতির হলেও হাজার হাজার বই তৈরির ক্ষেত্রে এই পদ্ধতিটিই কার্যকর ও দ্রুতগতির হয়ে দাড়ায়। যথার্থই, চীনে অনেক শহর ছিল যেখানে স্থানীয় ধনী পরিবার অথবা ব্যক্তিগত বিশাল প্রতিষ্ঠান ধাতব ও কাঠের প্রতিস্থাপনযোগ্য প্রিন্টিং ব্যবহার করেছিল। অষ্টাদশ শতাব্দীতে কিং সাম্রাজ্যের আদালত কাঠের প্রতিস্থাপনযোগ্য প্রিন্ট ব্যবহার করে একটি বৃহৎ প্রিন্টিং প্রকল্পের অর্থায়ন করে। পশ্চিমা ছাপানোর পদ্ধতি দ্বারা প্রতিস্থাপিত হলেও চীনের অনেক বিচ্ছিন্ন সম্প্রদায়ে কাঠের প্রতিস্থাপনযোগ্য প্রিন্টিং পদ্ধতি এখনও ব্যবহার হয়।",
"চীনের মহাপ্রাচীর\nএর মূল অংশের নির্মাণ শুরু হয়েছিল প্রায় খ্রিস্টপূর্ব ২০৮ সালের দিকে। নির্মাণ কাজ শুরু করেছিলেন চৈনিক বা চাইনিজরা কিং সাম্রাজ্যের সময়। চীনের প্রথম সম্রাট কিং সি হুয়াং (Qin Shi Huang) এটি প্রথম ব্যবহার করেছিলেন এবং শত্রুর হাত থেকে নিজের সম্রাজ্যকে রক্ষার জন্য দীর্ঘ করে নির্মাণ করেছিলেন। এটি চীনের প্রকৃতিক বাঁধাগুলো ছাড়া অন্যান্য অঞ্চল পাহারা দেওয়ার কাজে এবং উত্তর চীনের উপজাতি সুইং নু (the Hsiung Nu (the Huns)) বিরুদ্ধে এটি প্রথম স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল।",
"বাদালিং\nবাদালিং () চীনের মহাপ্রাচীরের সবচেয়ে ভ্রমনকারী জায়গা, ইয়ানকিং অঞ্চলের বেইজিং শহর থেকে প্রায় ৮০ কিমি উত্তর-পশ্চিমে, যা বেইজিং পৌরসভার মধ্যে অবস্থিত। প্রাচীরের এই অংশটুকু করা হয় ১৫০৪ সালে মিং রাজবংশের সময়, যা সামরিক ঘাটির কৌশলগত অবস্থানে গুরুত্ত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বাদালিং এর সবচেয়ে উচু জায়গা বেইবালোও (北八樓) যা সমুদ্রপৃষ্ট থেকে প্রায় ১০১৫ মিটার (৩৩৩০ ফিট) উচ্চতায় অবস্থিত। \nবাদালিং মহাপ্রাচীর মিং বংশের শাসনামলে (১৫০৫ সালে) নির্মিত হয়েছিল যা একটি আদেশমূলক এবং কৌশলগত অবস্থানের মাধ্যমে দক্ষিণের জুইয়াংগান গিরিপথ (মহাপ্রাচীরের জুইয়াংগান অংশ) ও বেইজিং শহর রক্ষা করার জন্য।",
"চীনের ইতিহাস\nচীন তখন হান, ওয়েই, চাও, ছি, ছু এবং ইয়ান এই ছয়টি রাজ্যে বিভক্ত ছিল। রাজা কিন শি হুয়াং এই ছয়টি রাজ্যকে একত্রিত করে কিন সাম্রাজ্য গড়ে তুলেন। ইতিহাসে তিনি প্রথম চৈনিক সম্রাট (始皇帝) হিসেবে পরিচিত। দুর্ধর্ষ তাতার জাতির (মঙ্গল জাতি) হাত থেকে চীনকে রক্ষা করার জন্য তিনি সমগ্র চীনের উত্তর সীমান্ত জুড়ে প্রাচীর নির্মাণের উদ্যোগ নেন। যা চীনের মহাপ্রাচীর নামে পরিচিত। যদিও বর্তমানে সেই প্রাচীরের সামান্য কিছু অংশের অস্তিত্ব আছে। কিন সি হুয়াং তার প্রধানমন্ত্রী লী সিংকে সাথে নিয়ে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংস্কার করন। এছাড়া শি হুয়াং এর অবদানগুলোর মধ্যে অন্যতম হল কেন্দ্রীয় সরকার ব্যবস্থা, একক আইন ও ধারা প্রনয়ন, লেখ্য ভাষার প্রবর্তন, এবং মুদ্রার প্রচলন।",
"বাদালিং\nচীনের ১০ হাজার মাইল মহাপ্রাচীরের শ্রেষ্ঠ অংশ হচ্ছে বাদালিং মহাপ্রাচীর। ১৯৭২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাজ্যের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি রিচার্ড নিক্সন এবং তার স্ত্রী তাদের ঐতিহাসিক সফরে চীনের উপ-প্রধানমন্ত্রী লি জিয়ান্নিয়ানের সাথে বাদালিং পরিদর্শন করেন।",
"শানহুয়া মন্দির\nদাজিওংবাও হল (চীনা: 大雄宝殿; পিনয়িন: Dàxíongbǎo Dian) হচ্ছে সর্ব উত্তরের এবং সর্ব বৃহৎ হল যা ১১তম শতাব্দী থেকে বিদ্যমান। এটার পরিমাপ দৈর্ঘ্য ও প্রস্থে সাত বাই পাঁচ (৪০.৫ বাই ২৫ মি) এবং হলের সামনে তিনটি দরজা আছে। হলটি একটি তিন মিটার সমুচ্চ প্ল্যাটফর্মের উপর নির্মিত হয় যার উভয় দিকে এক সময় একটি ড্রাম ও বেল টাওয়ার ছিল যার অস্তিত্ব এখন আর বিদ্যমান নেই। ১১ শতাব্দীর চীনা স্থাপত্য গ্রন্থ ইয়াংজাও ফাঁসি এর আদর্শ মান অনুযায়ী, হলটিকে আট সেট পদমর্যাদার মধ্যে পাঁচ সেট বন্ধনী (鋪 作) পদমর্যাদায় ভূষিত করা হয়। হলের অভ্যন্তরে চারটি প্রধান দিক প্রতিনিধিত্বমূলক চারটি বৃহৎ বৌদ্ধ মূর্তি রয়েছে, এবং সাকিয়ামুনি প্রতিনিধিত্বকারী একটি কেন্দ্রীয় মূর্তি রয়েছে। মূর্তিগুলো প্রায় অনুরূপ, এবং বিভিন্ন মুদ্রা (প্রতীকধর্মী অনুমান) হতে বুদ্ধকে প্রতিনিধিত্ব করে (চীনা 藻井; পিনয়িন:zǎojǐng)। সাকিয়ামুনি মূর্তির উপরে,একটি কাঠের ছাদ রঙ্গিন মূর্তি দ্বারা শোভিত এবং সজ্জিত অবস্থায় রয়েছে যেটাকে কাইসন বলা হয়।",
"চারটি মহা উদ্ভাবন\nচীনে ব্যবহার হওয়া শুকনো কম্পাসগুলো ছিল মূলত শুকনো সাসপেনশন কম্পাস। একটি কাঠের ফ্রেমকে কচ্ছপের আকারে কেটে একটি তক্তার সাহায্যে উপুড় করে ঝুলিয়ে মোমের সাহায্যে সন্ধানীপাথর আটকিয়ে এর লেজের দিকে সূচ বসিয়ে যন্ত্রটি তৈরি করা হয়। যন্ত্রটিকে যতই ঘোরানো হোক না কেন সূচটি সবসময় উত্তরমুখী হয়ে স্থির হবে। ইউরোপিয়ানদের দ্বারা ১৪ শতকে তৈরি বক্স ফ্রেমে কম্পাস কার্ড চীনারা গ্রহণ করে ১৬ শতকে যখন জাপানী নাবিকরা এটি চীনে নিয়ে আসে (তারা এটি ইউরোপিয়ানদের কাছ থেকেই পেয়েছিল)। তবে ১৮ শতাব্দী পর্যন্ত চীনে এর নিজের তৈরি শুকনো সাসপেনশন বেশ প্রচলিত ছিল।"
] | 85 |
অতিরিক্ত ধূমপান কি ফুসফুসের ক্যান্সারের একটি প্রধান কারণ ? | [
"ধূমপান\nধূমপান হচ্ছে তামাক জাতীয় দ্রব্যাদি বিশেষ উপায়ে প্রক্রিয়াজাত করে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে শ্বাসের সাথে তার ধোঁয়া শরীরে গ্রহণের প্রক্রিয়া। সাধারণ যেকোনো দ্রব্যের পোড়ানো ধোঁয়া শ্বাসের সাথে প্রবেশ করলে তাকে ধূমপান বলা গেলেও মূলত তামাকজাতীয় দ্রব্যাদির পোড়া ধোঁয়া গ্রহণকেই ধূমপান হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, বিভিন্ন বৈজ্ঞানিকগণসহ মোটামুটি সর্বজনীনভাবে স্বীকৃত যে, ধূমপান যক্ষ্মা, ফুসফুসের ক্যান্সার সহ নানা রোগের অন্যতম প্রধান কারণ এবং ধারক ও বাহক।",
"স্বাস্থ্যের উপর তামাকের প্রভাব\nধূমপানের ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় হৃৎপিণ্ড ও ফুসফুস। এতে হার্ট অ্যাটাক, ক্রনিক অবস্ট্রাক্টিভ পালমোনারি ডিজিজ, এমফাইসিমা, ও ক্যান্সার বিশেষত ফুসফুস, ল্যারিংস, মুখগহ্বর ও অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেক বৃদ্ধি পায়। \nদীর্ঘকাল ধূমপানের ফলে সার্বিক গড়ায়ু অধূমপায়ীদের তুলনায় ১০ বছর থেকে ১৭.৯ বছর পর্যন্ত হ্রাস পায়। \nদীর্ঘকালব্যাপী ধূমপায়ী পুরুষদের প্রায় অর্ধাংশ ধূমপানজনিত কারণে মৃত্যুবরণ করে। \nধূমপানের সাথে ফুসফুস ক্যান্সারের একটি বড় ধরণের সম্পর্ক রয়েছে। পুরুষ ধূমপায়ীর ক্ষেত্রে সারাজীবনে এই ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি ১৭.২% যেখানে মহিলাদের ক্ষেত্রে এটি ১১.৬%। অধূমপায়ীদের ক্ষেত্রে এই ঝুঁকি অনেক কম যেমন পুরুষের ক্ষেত্রে ১.৩% মহিলার ক্ষেত্রে ১.৪% \nঐতিহাসিকভাবে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পূর্বে ফুসফুস ক্যান্সারকে বিরল একটি রোগ হিসেবে মনে করা হত এবং এমনও বলা হত যে কোনো কোনো চিকিৎসক তার পেশাগত জীবনে হয়ত এই রোগীর দেখায় পাবেন না।যুদ্ধপরবর্তী সময়ে সিগারেট ধূমপানের জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে এবং ফুসফুস ক্যান্সার ধীরে ধীরে মহামারী রূপ নিতে শুরু করে।",
"স্বাস্থ্যের উপর তামাকের প্রভাব\nধোঁয়া বা যেকোনো আংশিক পোড়া জৈবযৌগতে ক্যান্সার সৃষ্টিকারী পদার্থ (কার্সিনোজেন) থাকে।\nধূমপানের সম্ভাব্য পরিণতি যেমন ফুসফুস ক্যান্সারের লক্ষণ প্রকাশিত হতে প্রায় কুড়ি বছর সময় লাগে।\nঐতিহাসিকভাবে নারীকুল ব্যাপকহারে ধূমপান করা আরম্ভ করে পুরুষদের অনেক পরে, এজন্য তাদের ক্ষেত্রে ধূমপানজনিত মৃত্যুহার বৃদ্ধি পেতে অনেক সময় নেয়। পুরুষদের ক্ষেত্রে ফুসফুস ক্যান্সারজনিত মৃত্যুহার হ্রাস পাওয়া শুরু করে ১৯৭৫ সালের দিকে যা কিনা গড়ে ধূমপান করা কমিয়ে ফেলার কুড়ি বছর পর। নারীদের ক্ষেত্রেও গড় ধূমপানের হার কমতে শুরু করে ১৯৭৫ সালের দিকে\nকিন্তু ১৯৯১ সালের আগ পর্যন্ত তাদের ক্ষেত্রে ফুসফস ক্যান্সারজনিত মৃত্যুহার হ্রাস পায়নি।\nধূমপানে কিছু ক্যান্সার সৃষ্টিকারী পাইরোলাইটিক যৌগ থাকে যা ডিএনএ(DNA) এর সাথে যুক্ত হয়ে জেনেটিক মিউটেশন করে। বিশেষত শক্তিশালী কার্সিনোজেন যেমন পলিসাইক্লিক অ্যারোমাটিক হাইড্রোকার্বন যা মিউটাজেনিক ইপক্সাইডে পরিণত হয়ে আরো বিষাক্ত হয়ে উঠে। বেনজোপাইরিন হলো প্রথম পলিসাইক্লিক অ্যারোমাটিক হাইড্রোকার্বন যা ধূমপানে ক্যান্সার সৃষ্টিকারী হিসাবে চিহ্নিত হয়। এটি ইপক্সাইডে পরিণত হয়ে কোষের নিউক্লিয়ার ডিএনএ এর সাথে স্থায়ীভাবে বন্ধন তৈরি করে ফলে কোষটি হয় মৃত্যুবরণ করে অথবা মিউটেশন হয়।\nযদি মিউটেশন হওয়া কোষটি অ্যাপোপটোসিস বা প্রোগ্রামড সেল ডেথ এর মাধ্যমে ধ্বংস না হয় তাহলে সেটি ক্যান্সার কোষে পরিণত হয়।\nএকইভাবে অ্যাক্রোলিন নামক আরেকটি যৌগ একই পদ্ধতিতে ক্যান্সার করতে পারে, তবে এটি সরাসরি কাজ করতে পারে।\nসিগারেটে ১৯টির বেশি রাসায়নিক পদার্থ আছে যারা ক্যান্সারের জন্য দায়ী। নিম্নে কিছু শক্তিশালী কার্সিনোজেন নিয়ে আলোচনা করা হলো:\n বেনজোপাইরিন দ্বারা সৃষ্ট কার্সিনোজেনেসিটি অনেকটা তেজস্ক্রিয়তার মত। \n এটি সিগারেটের ধোঁয়াকে ঝাঁঝাল করে, এর জ্বালা সৃষ্টিকারী ও ল্যাক্রিমেটরি বা অশ্রু উৎপাদক প্রভাব রয়েছে।PAH এর উৎপাদের মতো অ্যাক্রোলিন ইলেক্ট্রোফিলিক অ্যালকাইলেটিং এজেন্ট এবং স্থায়ীভাবে DNA বেজ গুয়ানিন এর সাথে বন্ধন তৈরি করে।\nঅ্যাক্রোলিন-গুয়ানিন অ্যাডাক্ট DNA কপিং এর সময় মিউটেশনকে প্রভাবিত করে এবং ক্যান্সার সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখে, তবে এর কোনো মেটাবলিক অ্যাক্টিভেশন এর প্রয়োজন নাই। সিগারেটে PAH এর তুলনায় অ্যাক্রোলিন ১০০০ গুণ বেশি থাকে যা একই সাথে মিউটাজেন ও কার্সিনোজেন হিসাবে কাজ করে।",
"স্বাস্থ্যের উপর তামাকের প্রভাব\n১৯৩০ সালে জার্মান বিজ্ঞানীগণ দেখান যে সিগারেট ফুসফুস ক্যান্সার করতে পারে।\n১৯৩৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীগণ মানুষের জীবনকাল ও ধূমপানের মধ্যে একটি নেতিবাচক সম্পর্ক খুঁজে পান। ১৯৫০ সালে পাঁচটি গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয় যার প্রত্যেকটিতে ফুসফুস ক্যান্সারের সাথে ধূমপানের শক্তিশালী সম্পর্ক দেখানো হয়। এই গবেষণার ফলগুলো ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে\"স্মোকিং অ্যান্ড কার্সিনোমা অব লাং\"শিরোনামে প্রকাশিত হয়।। উক্ত প্রতিবেদনে দাবি করা হয় যে, যারা অত্যধিক পরিমাণে ধূমপান করে তাদের ফুসফুস ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা অধূমপায়ীদের তুলনায় পঞ্চাশগুণ বেশি।\nধূমপায়ী বলতে যারা দৈনিক ধূমপান করে তাদের বুঝানো হয়েছে এবং ধূমপান সংক্রান্ত সকল গবেষণায় এই ক্যাটাগরিকে ভিত্তি হিসেবে ধরা হয়েছে। যারা দৈনিক ধূমপান করেনা তাদেরকে অকেশনাল স্মোকার হিসেবে ধরা হয়। ২০০৬ সালে ইউরোপীয় গবেষণায় দেখা যায় এই ধরণের ধূমপায়ীদের ক্ষেত্রে ক্যান্সারের সম্ভাবনা অধূমপায়ীদের তুলনায় ১.২৪ গুণ বেশি।",
"ফুসফুসের ক্যান্সার\nফুসফুস ক্যান্সারের ৮৫% এর জন্য দায়ী দীর্ঘমেয়াদি তামাক সেবন। বাকি ১০-১৫% যারা কখনো ধূমপান করেন নি,তারা আক্রান্ত হন। জেনেটিক ফ্যাক্টর,বায়ু দূষণ ইত্যাদি ফুসফুস ক্যান্সারের অন্যতম প্রভাবক।..\nবুকের এক্স-রে পরীক্ষা এবং কম্পিউটার টমোগ্রাফির মাধ্যমে ফুসফুসের ক্যান্সার ধরা যেতে পারে। পরবর্তীতে একটি বায়োপসির মাধ্যমে এটি নিশ্চিত করা সম্ভব। সার্জারি, কেমোথেরাপি এবং রেডিওথেরাপির মাধ্যমে এর চিকিৎসা করা যায়। ৫ বছর চিকিৎসার পর রোগীর বেঁচে যাওয়ার হার ১৪% ফুসফুস ক্যান্সারের অনেক লক্ষণই(ক্ষুধামন্দা,ওজন হ্রাস,অবসাদ) সুনির্দিষ্ট নয়। রোগ শনাক্ত হবার পূর্বেই অনেক রোগীর ক্যান্সার মেটাস্ট্যাটিস করে বা ছড়িয়ে পড়ে। সাধারণত যেসব জায়গায় ক্যান্সার ছড়িয়ে পড়ে,তা হল - মস্তিষ্ক,অস্থি,যকৃৎ,পেরিকার্ডিয়াম,বৃক্ক প্রায় ১০% মানুষের ক্যান্সার শনাক্ত হবার সময় কোন লক্ষণই ধরা পড়ে না।এসব ক্যান্সার রোগীর নিত্য-নৈমত্তিক পরীক্ষা,যেমন বুকের এক্সরে করতে গিয়ে ধরা পড়ে।",
"স্বাস্থ্যের উপর তামাকের প্রভাব\nউনিশ শতকের শেষ দিকে সিগারেট তৈরির স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রপাতি উদ্ভাবিত হওয়ার পর স্বল্প খরচে ব্যাপকহারে সিগারেট উৎপাদন শুরু হয়।তারপর এটি সমাজের অভিজাত ও কেতাদুরস্ত লোকদের মাঝে জনপ্রিয়তা পেতে শুরু করে। ১৯১২ সালে, আমেরিকান চিকিৎসক ড. আইজাক অ্যাডলার প্রথমবারের মতো ধূমপানের সাথে ফুসফুস ক্যান্সারের সম্পর্কের কথা বলেন।\n১৯২৪ সালে অর্থনীতিবিদ আরভিং ফিশার \"রিডার'স ডাইজেস্ট\" পত্রিকায় ধূমপান বিরোধী একটা প্রবন্ধ লিখেছিলেন, সেখানে তিনি তামাক সম্পর্কে একটি গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছিলেন তা হলো..\n\"\"তামাক পুরাশরীরের স্থিতিস্থাপকতা কমিয়ে দেয়এবং এর মূল্যবান ক্ষমতা ও প্রতিরোধ শক্তিকে খর্ব করে... এটা নার্কোটিক পয়জন এর মতো কাজ করে, আফিমের মতো, এবং অ্যালকোহলের মতো, যদিও সাধারণত অল্প পরিমাণে।\"\"\n১৯২৯ সালে, ড্রেসডেন, জার্মানিরবিজ্ঞানী ফ্রিৎস লিকিন্টএকটি পরিসংখ্যানিক প্রমাণপত্র প্রকাশ করেন যার মাধ্যমে তিনি ফুসফুস ক্যান্সার ও তামাকের সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করেন।\nপ্রথম বিশ্বযুদ্ধের পূর্বে ফুসফুস ক্যান্সারকে বিরল একটি রোগ হিসেবে ভাবা হতো, এমনও হয়েছে যে অনেক চিকিৎসক তাঁর পেশাগত জীবনে একবারের জন্যেও এই রোগীর দেখা পাননি।",
"স্বাস্থ্যের উপর তামাকের প্রভাব\nপরোক্ষ ধূমপান বলতে সিগারেট, পাইপ বা চুরুটের পুড়ন্ত প্রান্ত থেকে নির্গত ধোঁয়া ও ধূমপায়ীর ফুসফুস থেকে নির্গত ধোঁয়াকে বুঝায়। এটি অনিচ্ছাকৃতভাবে নিঃশ্বাসের সাথে ফুসফুসে চলে যায়, বাতাসে অনেকক্ষণ ভেসে বেড়ায় ও নানাবিধ স্বাস্থ্য সমস্যা তৈরি করে যেমন ক্যান্সার, শ্বসনতন্ত্রের সংক্রমণ, ও হাঁপানি।\nযেসকল ব্যক্তি গৃহে ও কর্মক্ষেত্রে পরোক্ষ ধূমপানের স্বীকার তাদের হৃদরোগের সম্ভাবনা ২৫-৩০% ও ফুসফুস ক্যান্সারের সম্ভাবনা ২০-৩০% বাড়ে। পরোক্ষ ধূমপানের জন্য প্রতিবছর প্রায় ৩৮,০০০ লোক মারা যায় যার মধ্যে ৩,৪০০ জন ফুসফুস ক্যান্সারে মারা যান।",
"ক্যান্সার\nরাসায়নিক পদার্থের সাথে ক্যান্সারের অনেক বড় একটা সম্পর্ক রয়েছে। যেমন, মেসোথেলিওমিয়া-তে (এক ধরনের দূর্লভ ক্যান্সার, এতে ফুসফুসের চারপাশ এবং পেটের দিকের কোষগুলো আক্রান্ত হয়) আক্রান্তদের ১০ জনের মধ্যে ৯ জনই এসবেস্টস ধাতুর সংস্পর্শে আসার কারণে এই ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছেন। সাধারণত জাহাজ তৈরির শিল্পের সাথে যারা জড়িত তাদের এই ধাতুর সংস্পর্শে আসার সম্ভাবনাটা বেশি থাকে। এই কারণেই অনেক দেশে এই ধাতুর ব্যবহার নিষিদ্ধ। একইভাবে রঙের কারখানা, রাবার বা গ্যাসের কাজে যারা নিয়োজিত তারা এক ধরনের বিশেষ রাসায়নিক পদার্থের সংস্পর্শে আসার কারণে মুত্রথলির ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। পরবর্তীতে অনেক দেশে এসব রাসায়নিক পদার্থের ব্যবহারও নিষিদ্ধ করে দেয়া হয়েছে।\nপরিবেশগত কারণের অন্যতম একটা হচ্ছে সূর্য। রোদে বেশিক্ষণ থাকার কারণে ত্বকের ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তেজস্ক্রিয়তার কারণেও বিভিন্ন ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে।"
] | [
"ফুসফুসের ক্যান্সার\nফুসফুসের ক্যান্সার () বা ফুসফুস ক্যান্সার একটি রোগ যাতে ফুসফুসের টিস্যুগুলিতে অনিয়ন্ত্রিত কোষবৃদ্ধি ঘটে। এই বৃদ্ধির ফলে মেটাস্ট্যাসিস, প্রতিবেশী টিস্যু আক্রমণ এবং ফুসফুসের বাইরে সংক্রমণ ঘটতে পারে। প্রাথমিক ফুসুফুসের ক্যান্সারের অধিকাংশই ফুসফুসের কার্সিনোমা, যা ফুসফুসের এপিথেলিয়াল কোষগুলিতে ধরা পড়ে। ফুসফুসের ক্যান্সার পুরুষদের ক্যান্সার-জনিত মৃত্যুর প্রধান কারণ এবং মহিলাদের এরূপ মৃত্যুর দ্বিতীয় প্রধান কারণ। ফুসফুসের ক্যান্সারের কারণে প্রতি বছর বিশ্বে ১৩ লক্ষ লোক মারা যান। ফুসফুসের ক্যান্সারের সাধারণ লক্ষণ শ্বাস নিতে সমস্যা, রক্তসহ কাশি এবং ওজন হ্রাস।",
"স্বাস্থ্যের উপর তামাকের প্রভাব\nধূমপানের কারণে এর মধ্যস্থিত বিভিন্ন রাসায়নিক উপাদান যেমন কার্বন মনোক্সাইড, সাইয়ানাইড প্রভৃতির সংস্পর্শে দীর্ঘদিন থাকার ফলে ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং ফুসফুসের অ্যালভিওলাই এর স্থিতিস্থাপকতা নষ্ট হয়ে যায় যার ফলে এমফাইসিমা নামক রোগ হয়। \nঅ্যাক্রলিন নামক ক্যান্সার সৃষ্টিকারী পদার্থও ক্রনিক অবস্ট্রাক্টিভ পালমোনারি ডিজিজের দীর্ঘমেয়াদি প্রদাহে ভূমিকা রাখে।",
"স্বাস্থ্যের উপর তামাকের প্রভাব\nমুখগহ্বরের ক্যান্সারের প্রধান কারণ হলো তামাক। এছাড়াও মুখের আরো অনেক রোগ রয়েছে যা কেবল তামাক সেবীদেরই হয়। ফুসফুস ক্যান্সার, ল্যারিঞ্জিয়াল ক্যান্সার, খাদ্যনালীয় ক্যান্সার প্রভৃতির প্রধান কারণ তামাক।\nধূমপায়ীদের পেরিওডন্টাইটিস বা দাঁতের চতুষ্পার্শ্বস্থ প্রদাহ বেশি হয়। \nদাঁতের রং পরিবর্তনের ক্ষেত্রে তামাকের বড় ভূমিকা রয়েছে।\nতামাক সেবীদের হ্যালিটোসিস বা মুখে দুর্গন্ধ হয়। দাঁত ক্ষয়ে যাওয়ার হার ২ থেকে তিনগুণ বৃদ্ধি পায়। \nএছাড়া লিউকোপ্লাকিয়া নামক আরেক ধরণের জটিলতা হতে পারে যাতে মুখগহ্বরের মিউকাস ঝিল্লিতে সাদা প্লাক দেখা দেয়"
] | 16 |
পেরুর রাজধানী কে ? | [
"ফ্রান্সিসকো পিসার্রো\nফ্রান্সিস্কো পিসার্রো, লোস আতাবিয়োসের প্রথম মার্কেস (; ১৪৭১ বা ১৪৭৬ – ২৬শে জুন, ১৫৪১) ছিলেন একজন স্পেনীয় দখলদার (Spanish conquistador) যিনি ষোড়শ শতাব্দীতে স্পেনের রাজা প্রথম চার্লসের জন্য ইনকা সাম্রাজ্য দখল করেন এবং ১৫৩৫ সালে পেরুর রাজধানী, লিমা আবিষ্কার করেন।",
"কারাল\nকারাল (স্পেনীয় - Caral) হল সমগ্র আমেরিকা মহাদেশের মধ্যে এখনও পর্যন্ত জানা সবচেয়ে প্রাচীন শহর। সুউচ্চ আন্দিজ পর্বতমালার পশ্চিমে মধ্য পেরুর সঙ্কীর্ণ সমুদ্রোপকূলে অবস্থিত অতি শুষ্ক সুপে উপত্যকায় সমুদ্র থেকে ২৫ কিলোমিটার স্থলাভ্যন্তরে এই সুপ্রাচীন শহরের প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন খুঁজে পাওয়া গেছে। পেরুর রাজধানী লিমা থেকে প্রায় ২০০ কিলোমিটার উত্তরে বারানকা প্রদেশে অবস্থিত এই প্রত্নস্থলটি বর্তমানে কারাল-সুপে সভ্যতার অন্যতম প্রধান নিদর্শনস্থল বলে বিবেচিত। ২০০৯ সালের জুন মাস থেকে এই শহর ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে।",
"কারাল সভ্যতা\nপেরুর প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপকূলের উত্তর-মধ্য অঞ্চলে নর্তে চিকো অঞ্চলের অবস্থান, রাজধানী লিমা থেকে ১৫০ - ২০০ কিলোমিটার উত্তরে। এর দক্ষিণে \"লুরিন\" উপত্যকা ও উত্তরে কাসমা অঞ্চল। চারটি উপকূলীয় উপত্যকা উয়াউরা, সুপে, পাতিভিলচা ও ফোর্তালেজা নিয়ে এই অঞ্চলটি গড়ে উঠেছে। এর মধ্যে শেষের তিনটি উপত্যকা সমুদ্র উপকূল দিয়ে পরস্পর যুক্ত। কিন্তু এদের মিলিত আয়তন মাত্র ১৮০০ বর্গকিলোমিটার । অথচ এই স্বল্প জায়গাতেই কারাল সভ্যতার অনেকগুলি কেন্দ্র আবিষ্কৃত হয়েছে। এর থেকে বিশেষজ্ঞরা এই সভ্যতার যথেষ্ট ঘন জনবিন্যাসের কথা আন্দাজ করে থাকেন।",
"লিমা\nলিমা ইংরেজি Lima পেরুর রাজধানী এবং সর্ববৃহৎ শহর। এটি লিমা প্রদেশেরও রাজধানী।"
] | [
"পেরু\nপেরু দক্ষিণ আমেরিকার পশ্চিম-মধ্য অঞ্চলে, প্রশান্ত মহাসাগরের উপকূলে অবস্থিত একটি রাষ্ট্র। পেরুর ভূগোলে চরম বৈপরিত্যের সহাবস্থান পরিলক্ষিত হয়। এখানে আছে জনবিরল মরুভূমি, সবুজ মরূদ্যান, বরফাবৃত পর্বতমালা, উচ্চ মালভূমি এবং গভীর উপত্যকা। দেশটির উত্তর-পশ্চিম থেকে দক্ষিণ-পূর্ব বরাবর আন্দেস পর্বতমালা চলে গেছে। আন্দেস পেরিয়ে দেশের অভ্যন্তরে রয়েছে ঘন ক্রান্তীয় অরণ্য, যেখানে জনবসতি তেমন ঘন নয়। প্রশান্ত মাহাসাগরের উপকূলে অবস্থিত লিমা দেশটির প্রধান বাণিজ্যিক কেন্দ্র ও রাজধানী।",
"কালাও\nএল কালাও () পেরুর প্রধান সমুদ্রবন্দর। এই শহরকে বলা হয় প্রভিন্সিয়া কন্সটিটিউশনাল (সাংবিধানিক প্রদেশ) যা কালাও অঞ্চলের একমাত্র প্রদেশ। দেশের রাজধানী থেকে কালাও শহরের ঐতিহাসক কেন্দ্র ১৫ কি.মি. (৯.৩) দূরে অবস্থিত। কালাওয়ের উত্তর, দক্ষিণ ও পূর্বদিকে আছে লিমা প্রদেশ এবং পশ্চিমে প্রশান্ত মহাসাগর।",
"ইন্দোনেশিয়া-পেরু সম্পর্ক\n১৯৯২ সালের ১ নভেম্বর, পেরু সরকার, ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় তাঁদের দূতাবাস স্থাপন করে। কার্যকারিতা বৃদ্ধি এবং পেরুর সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক দৃঢ় করা এবং দুই দেশের মধ্যকার সমন্বয় বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২০০২ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি, পেরুর রাজধানী লিমায় ইন্দোনেশিয়া তাঁদের দূতাবাস স্থাপন করে।",
"কোস্কো\nকোস্কো ঐতিহাসিক ইনকা সাম্রাজ্যের রাজধানী ছিল এবং ইউনেস্কো ১৯৮৩ সালে একে বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসাবে ঘোষণা করে। এটা একটি প্রধান পর্যটক গন্তব্য স্থল এবং প্রতি প্রায় বছর ২ মিলিয়ন একে পর্যটক পরিদর্শন করে। এটা পেরুর সংবিধানে পেরু ঐতিহাসিক রাজধানী হিসেবে মনোনীত করা হয়।",
"নাজকা রেখাসমূহ\nনাজকার রেখাসমূহ () হল দক্ষিণ আমেরিকার পেরুর নাজকা মরুভূমিতে অঙ্কিত কিছু বিপুলকায় ভূরেখাচিত্র বা জিওগ্লিফ। এই বিশালাকৃতির রেখা বা নকশাগুলো ১৯৯৪ খ্রিস্টাব্দে ইউনেস্কো দ্বারা বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়। পেরুর রাজধানী লিমা থেকে প্রায় ৪০০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত প্রায় ৮০ কিলোমিটার লম্বা ও ৫০০ বর্গকিলোমিটার বিস্তৃত শুষ্ক নাজকা মালভূমি অঞ্চলে মাটির উপর টানা বিশাল বিশাল সরলরেখা এবং তার সমন্বয়ে অঙ্কিত এইসব জ্যামিতিক চিত্র ও নানা পশুপাখির ছবি, বিশেষজ্ঞদের অনুমান মোটামুটি খ্রিস্টপূর্ব ৫০০ থেকে ৫০০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে অঙ্কিত। এগুলি সৃষ্টির কৃতিত্ব সাধারণত পেরুর প্রাচীন নাজকা সংস্কৃতির মানুষদের দেওয়া হয়ে থাকলেও, বর্তমান গবেষণা ইঙ্গিত করে, এর মধ্যে যেগুলি বেশি পুরনো, সেগুলি নাজকাদের থেকেও বেশি প্রাচীন। সেই হিসেবে অন্তত সেগুলির স্রষ্টা আরও পূর্বতন পারাকাস সংস্কৃতির মানুষ।",
"তিকুয়িনা প্রণালী\nএটি দেশ হিসেবে বলিভিয়ার অঙ্গ। এর দুই পারে সান পেদ্রো ও সান পাবলো শহর দুটি অবস্থিত। প্রশাসনিকভাবে এই প্রণালী বলিভিয়ার লা পাজ বিভাগের অন্তর্গত মানকো কাপাক প্রদেশের সান পেদ্রো পুরসভার অধীন। বলিভিয়ার রাজধানী লা পাজ থেকে কোপাকাবানা উপদ্বীপে যাওয়ার বাস্তবে সরাসরি কোনও রাস্তা নেই। দক্ষিণের হ্রদটি পুরো ঘুরে যাওয়ার একটি রাস্তা হওয়া সম্ভব ছিল বটে, কিন্তু তার একটা বিরাট অংশই পেরুর মধ্য দিয়ে যেতে হবে। তাই কোপাকাবানা উপদ্বীপের সান পেদ্রো থেকে তিকুয়িনা প্রণালী পেরিয়ে অপর তীরে সান পাবলো হয়ে লা পাজ যাওয়ার রাস্তাটি শুধু সংক্ষিপ্তই নয়, একমাত্র পথও। যাত্রী ও গাড়ি পরিবহনের জন্য এখানে ফেরি সার্ভিস ব্যবহৃত হয়। ফেরিতে প্রণালীটি পেরোতে ১৫-২০ মিনিট সময় লাগে। এর জন্য যাত্রীপিছু খরচ ১.৫০ বলিভিয়ানো (মোটামুটি ০.১৫ ইউরো বা ১২ ভারতীয় টাকা) ও গাড়িপিছু খরচ ৩০ বলিভিয়ানো (২০১১ সালের মে মাসের হিসেব অনুযায়ী)।",
"পেরু জাতীয় ফুটবল দল\nপেরু জাতীয় ফুটবল দল আন্তর্জাতিক ফুটবল অঙ্গনে ১৯২৭ সাল থেকে পেরুর প্রতিনিধিত্ব করছে। পেরুভীয় ফুটবল ফেডারেশন কর্তৃক দলটি পরিচালিত হয়। ফিফা কর্তৃক স্বীকৃত দক্ষিণ আমেরিকান ফুটবল কনফেডারেশনের (কনমেবল) ১০টি সদস্য রাষ্ট্রের অন্যতম এটি। পেরুভীয় দলের ধারাবাহিক অগ্রসরতা অনেকটাই ছন্দবিহীন। ১৯৩০ ও ১৯৭০-এর দশকে সর্বাধিক সফলতম সময় অতিবাহিত করে। দেশের রাজধানী লিমায় নির্মিত এস্তাদিও ন্যাশিওনালে দলটি তাদের অধিকাংশ খেলায় অংশ নিয়েছে।"
] | 57 |
মহাবিশ্ব সম্প্রসারণ তত্ত্বটি প্রথম কবে প্রকাশিত হয় ? | [
"স্ট্রিং তত্ত্ব\nবর্তমানে বিগ ব্যাং অতিক্রম করে একটি তত্ত্বের জন্য নেতৃস্থানীয় প্রার্থী মহাজাগতিক মুদ্রাস্ফীতির তত্ত্ব। অ্যালান গুথ এবং অন্যদের দ্বারা ১৯৮০ সালে তৈরি করা হয়েছিল, মুদ্রাস্ফীতি মহাবিশ্বের অত্যন্ত দ্রুত গতির বিস্তারের পূর্বের প্রজন্মকে প্রমিত বিগ ব্যাং তত্ত্ব দ্বারা বর্ণিত সম্প্রসারণের পূর্বাভাস দেয়। মহাবিশ্বের রহস্যজনক বৈশিষ্ট্যগুলির জন্য প্রাকৃতিক ব্যাখ্যা প্রদানের সময় মহাজাগতিক মুদ্রাস্ফীতি তত্ত্বটি বিগ ব্যাগের সফলতা ধরে রাখে। তত্ত্বটি মহাজাগতিক মাইক্রোওয়েভ ব্যাকগ্রাউন্ডের পর্যবেক্ষণ থেকে প্রত্যক্ষ সমর্থন লাভ করেছে, বিগ ব্যাং এর পরে প্রায় 380,000 বছর পর আকাশকে আকাশে ছড়িয়ে পড়েছে।"
] | [
"মহাবিস্ফোরণ তত্ত্ব\nমহাবিস্ফোরণ শব্দটি স্থূল অর্থে প্রাচীনতম একটি বিন্দুর অতি শক্তিশালী বিস্ফোরণকে বোঝায় যার মাধ্যমে মহাবিশ্বের সৃষ্টি হয়েছিল, আবার অন্যদিকে এই বিস্ফোরণকে কেন্দ্র করে মহাবিশ্বের উৎপত্তি ও গঠন নিয়ে বিশ্বতত্ত্বে যে মতবাদের সৃষ্টি হয়েছে তাকেও বোঝায়। এর মাধ্যমেই মহাবিশ্বের প্রাচীনতম বস্তুসমূহের গঠন সম্পর্কে ব্যাখ্যা পাওয়া যায়, যার জন্য মহাবিস্ফোরণ মতবাদের পরই আলফার-বেটে-গ্যামফ তত্ত্ব প্রণীত হয়েছে। মহাবিস্ফোরণের একটি উল্লেখযোগ্য ফলাফল হল, বর্তমানে মহাবিশ্বের অবস্থা অতীত এবং ভবিষ্যতের অবস্থা থেকে সম্পূর্ণ পৃথক। এই তত্ত্বের মাধ্যমেই ১৯৪৮ সালে জর্জ গ্যামফ অনুমান করতে পেরেছিলেন যে, মহাজাগতিক অণুতরঙ্গ পটভূমি বিকিরণের অস্তিত্ব রয়েছে। ১৯৬০-এর দশকে এটি আবিষ্কৃত হয় এবং স্থির অবস্থা তত্ত্বকে অনেকটাই বাতিল করে মহাবিস্ফোরণ তত্ত্বকে প্রমাণ করতে সমর্থ হয়।",
"মহা বিস্ফোরণ তত্ত্বের ইতিহাস\nদুইটি স্বতন্ত্র সম্ভাবনা রয়েছে। একটি ফ্রেড হয়েলের স্থির অবস্থা নকশা, যা অনুসারে মহাবিশ্ব যখন সম্প্রসারিত শুরু করে তখন এখানে নতুন পদার্থ সৃষ্টি হতে পারে। এই নকশা অনুসারে সময়ের যে কোন বিন্দুতে মহাবিশ্ব একইরকম থাকে। অন্যটি হল লেমাইট্রের \"মহা বিস্ফোরণ তত্ত্ব\" যা মূলত জর্জ গ্যামো কর্তৃক পূর্ণতা লাভ করেছে। লেমাইট্রের এই তত্ত্বটির নাম কিন্তু হয়েলই দিয়েছিলেন। হয়েল ১৯৪৯ সালের ২৮ মার্চ তারিখে বিবিসিতে প্রচারিত থার্ড প্রোগ্রাম নামক অনুষ্ঠানে অনেকটাই শ্লেষের বশে লেমাইট্রের এই তত্ত্বটিকে \"বিগ ব্যাং\" বলে আখ্যায়িত করেন যার দ্বারা একটি বিশাল গণ্ডগোলই বুঝায়। এর পরেও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তাকে এই নামটি ব্যবহার করতে দেখা যায়। বিশেষত ১৯৫০ সালে \"বস্তুর ধর্মের\" উপর প্রদত্ত পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতায় লেমাইট্রের তত্ত্বকে বোঝানোর জন্য তিনি এই নাম ব্যবহার করেন। বক্তৃতা প্রচারিত হওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যেই এর প্রতিটি দ্য লিসেনার পত্রিকায় প্রকাশিত হতো। এই পত্রিকাতেই \"বিগ ব্যাং\" নামটি প্রথম ছাপার অক্ষরে ব্যবহৃত হয়। হয়েল এবং লেমাইট্র কর্তৃক প্রস্তাবিত এই দুটি নকশা ছাড়াও মহাবিশ্বের উৎপত্তি নিয়ে আরো বেশ কিছু নকশা প্রস্তাব করা হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে মাইন নকশা (Milne model), রিচার্ড টলম্যান কর্তৃক প্রস্তাবিত কম্পনশীল মহাবিশ্ব এবং ফ্রিট্জ জুইকি প্রস্তাবিত দুর্বল আলো প্রকল্প।",
"ইয়োহানেস কেপলার\nকেপলারের প্রথম জ্যোতির্বিজ্ঞান গ্রন্থ \"মুস্তেরিয়ুম কসমোগ্রাফিকুম\" (মহাবিশ্বের পবিত্র রহস্য) ছিল কোপের্নিকুসের বিশ্ব ব্যবস্থা প্রমাণের জন্য প্রকাশিত প্রথম বই। কেপলারের দাবী অণুসারে ১৫৯৫ সালের ১৯শে জানুয়ারি গ্রাৎসের একটি শ্রেণীকক্ষে রাশিচক্রে শনি ও বৃহস্পতি গ্রহের পর্যাবৃত্ত সংযোগ পড়ানোর সময় তার মনে এক স্বর্গীয় চিন্তা খেলে যায়; তিনি বুঝতে পারেন সুষম বহুভুজের অন্তর্বৃত্ত এবং পরিবৃত্ত যেমন বহুভুজটির সাথে সর্বদা একটি নির্দিষ্ট অণুপাতে আবদ্ধ হয়, মহাবিশ্বের জ্যামিতিক ভিত্তিও সম্ভবত তেমন। এরপর অনেক ধরনের পরীক্ষা করেন, কিন্তু অতিরিক্ত গ্রহ যোগ করেও শেষ পর্যন্ত সুষম বহুভুজদের এমন কোন সমাবেশ পাননি যা তখন পর্যন্ত জানা জ্যোতিষ্কগুলোর গতিপথ ব্যাখ্যা করতে পারে। অগত্যা ত্রিমাত্রিক বহুতলক নিয়ে কাজ শুরু করেন। এভাবে আবিষ্কার করেন যে, পাঁচটি প্লেটোনীয় ঘনবস্তুকে খ-গোলকের মাধ্যমে অন্তর্লিখিত এবং পরিলিখিত করা যায়। তিনি বস্তুগুলোর একটিকে আরেকটির ভেতর স্থাপন করে প্রতিটিকে একটি অন্তর্বৃত্ত ও একটি পরিবৃত্ত দ্বারা আবদ্ধ করেন। এক বস্তুর অন্তর্বৃত্ত তার পরের বস্তুটির পরিবৃত্তের সাথে মিলে একটি খ-গোলক গঠন করে। এভাবে পাঁচটি বস্তুর জন্য মোট ছয়টি গোলক পাওয়া যায়। তখন পর্যন্ত জানা ছয়টি গ্রহকে (বুধ, শুক্র, পৃথিবী, মঙ্গল, বৃহস্পতি এবং শনি) কেপলার এই ছয় গোলকে স্থান করে দেন। অষ্টতলক, বিংশতলক, দ্বাদশতলক, চতুস্তলক এবং ঘনক- এই বস্তু পাঁচটিকে সঠিক ক্রমে সাজিয়ে দেখেন, গোলকগুলোকে এমন দূরত্বে স্থাপন করা সম্ভব যাতে তা গ্রহীয় কক্ষপথের আপেক্ষিক আকারের প্রতিনিধিত্ব করে। অবশ্যই সে সময়কার জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে দূরত্বের যে মান পাওয়া গিয়েছিল সেটাই তাকে ব্যবহার করতে হয়েছে। এমনকি কেপলার প্রতিটি গ্রহের খ-গোলকের সাথে তার কক্ষীয় পর্যায়কালের সম্পর্কসূচক একটি সূত্রও আবিষ্কার করে ফেলেন : ভেতর থেকে বাইরের দিকে যেতে থাকলে কক্ষীয় পর্যায়কালের বৃদ্ধি পরস্পরসংলগ্ন গ্রহ দুটির কক্ষীয় ব্যাসার্ধ্যের পার্থক্যের দ্বিগুণ। পরে অবশ্য সঠিক মান নির্ণয়ে সীমাবদ্ধতার কথা বিবেচনা করে তিনি এই সূত্রটি পরিত্যাগ করেছিলেন।",
"মুস্তেরিয়ুম কসমোগ্রাফিকুম\nমুস্তেরিয়ুম কসমোগ্রাফিকুম (লাতিন ভাষায়: Mysterium Cosmographicum, অর্থ: মহাবিশ্বের পবিত্র রহস্য) জার্মান জ্যোতির্বিদ ইয়োহানেস কেপলারের প্রথম জ্যোতির্বিজ্ঞান গ্রন্থ। এটি ছিল কোপের্নিকুসের বিশ্ব ব্যবস্থা প্রমাণের জন্য প্রকাশিত প্রথম বই। ১৬২১ সালে নিজের গবেষণা জীবন সম্পর্খে মন্তব্য করতে গিয়ে কেপলার তার মুস্তেরিয়ুম সম্পর্কে বলেছিলেন,\nকেপলারের দাবী অনুসারে ১৫৯৫ সালের ১৯শে জানুয়ারি গ্রাৎসের একটি শ্রেণীকক্ষে রাশিচক্রে শনি ও বৃহস্পতি গ্রহের পর্যাবৃত্ত সংযোগ পড়ানোর সময় তার মনে এক স্বর্গীয় চিন্তা খেলে যায়; তিনি বুঝতে পারেন সুষম বহুভুজের অন্তর্বৃত্ত এবং পরিবৃত্ত যেমন বহুভুজটির সাথে সর্বদা একটি নির্দিষ্ট অনুপাতে আবদ্ধ হয়, মহাবিশ্বের জ্যামিতিক ভিত্তিও সম্ভবত তেমন। এরপর অনেক ধরণের পরীক্ষা করেন, কিন্তু অতিরিক্ত গ্রহ যোগ করেও শেষ পর্যন্ত সুষম বহুভুজদের এমন কোন সমাবেশ পাননি যা তখন পর্যন্ত জানা জ্যোতিষ্কগুলোর গতিপথ ব্যাখ্যা করতে পারে। অগত্যা ত্রিমাত্রিক বহুতলক নিয়ে কাজ শুরু করেন। এভাবে আবিষ্কার করেন যে, পাঁচটি প্লেটোনীয় ঘনবস্তুকে খ-গোলকের মাধ্যমে অন্তর্লিখিত এবং পরিলিখিত করা যায়। এর মাধ্যমেই মুস্তেরিয়ুমের মূলভাব তৈরি হয়।",
"মহাবিস্ফোরণ তত্ত্ব\n১৯৯০-এর দশকে মহাবিশ্বের মোট ভর ঘনত্বের একটি বিস্তৃত পরিসংখ্যান প্রকাশিত হয়। এই পরিসংখ্যান অনুসারে মহাবিশ্বের ভর ঘনত্ব ক্রান্তি ঘনত্বের মাত্র শতকরা ৩০ ভাগ। মহাজাগতিক ক্ষুদ্র তরঙ্গ পটভূমির পরিমাপ করার মাধ্যমে জানা গেছে যে মহাবিশ্ব স্প্যাশিয়ালভাবে প্রায় সমতলীয়। এ কারণে এর শতকরা প্রায় ৭০ভাগ শক্তি ঘনত্বের কোন ব্যাখ্যা পাওয়া যায় না। এই রহস্যটি বর্তমানে অন্য একটি বিষয়ের দিকে ইঙ্গিত করে: লা ধরণের অতি নবতারার স্বাধীন পরিমাপের মাধ্যমে এটি প্রমাণ করা হয়েছে যে, মহাবিশ্বের সম্প্রসারণ একটি অরৈখিক ত্বরণে হচ্ছে। এই ত্বরণ ব্যাখ্যার জন্য সাধারণ আপেক্ষিকতা তত্ত্বে এমন একটি মহাবিশ্বের ধারণা গ্রহণ করা প্রয়োজন যাতে ঋণাত্মক চাপবিশিষ্ট বিপুল সংখ্যক শক্তি উপাদান থাকা প্রয়োজন। এ থেকেই এসেছে অদৃশ্য শক্তির ধারণা। ধারণা করা হয় এই শক্তি অবশিষ্ট ৭০% গঠন করেছে। এর প্রকৃতি বর্তমান মহাবিস্ফোরণ তত্ত্বের অন্যতম রহস্যময় বিষয়। এর সম্ভাব্য সমাধান পাওয়া যায় মহাজাগতিক ধ্রুবকের স্কেলার মান গ্রহণ এবং ভৌত শুন্য স্থান গঠনকারী কুইনটেসেন্সের পরিমাণ ধরে নেয়া। তবে এ বিষয়টি বোঝার জন্য বর্তমানেও গবেষণা এগিয়ে চলছে। ২০০৬ সালে ডব্লিউএমএপি থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুসারে মহাবিশ্বে ৭৪% অদৃশ্য শক্তি, ২২% অদৃশ্য বস্তু এবং মাত্র ৪% সাধারণ বস্তু রয়েছে।",
"মহাবিস্ফোরণ তত্ত্ব\nবিশ্বতত্ত্বে মহাবিস্ফোরণ তত্ত্বকে অবশ্যম্ভাবী ধরলেও ভবিষ্যতে এর সংস্কারের প্রয়োজন হতে পারে। অতীতে যে সময়টিতে স্ফীতি শুরু হয়েছে বলে আমরা ধরে নিয়েছি তা সম্বন্ধে আমাদের প্রকৃত জ্ঞান খুব সীমিত। তত্ত্বের সাহায্য উপস্থাপিত মহাবিশ্বের চিত্রের বাইরে আরও কিছু থাকতে পারে। স্ফীতির ক্ষেত্রে আমরা অবশ্যই ধরে নেই যে, সূচকীয় সম্প্রসারণ মহাকাশের বৃহৎ অঞ্চলকে আমাদের পর্যবেক্ষণযোগ্য দিগন্তের বাইরে ঠেলে দিয়েছে। তখন প্রকৃতপক্ষে কি ঘটেছিল তা সম্বন্ধে বিস্তারিত জ্ঞান পাওয়া যাবে যখন উচ্চ শক্তি স্কেলে পদার্থবিজ্ঞানের সূত্রসমূহ বোধগম্য হবে। এ সম্বন্ধে সকল অনুমান কোয়ান্টাম মহাকর্ষ হিসেবে আলোচিত হয়।",
"মহা বিস্ফোরণ তত্ত্বের ইতিহাস\nবেলজিয়ামের একজন রোমান ক্যাথলিক ধর্মপ্রচারক জর্জেস লেমাইট্র ১৯২৭ সালে প্রথম স্বাধীনভাবে আইনস্টাইনের ক্ষেত্র সমীকরণ থেকে ফ্রিডম্যান-লেমাইট্র-রবার্টসন-ওয়াকার সমীকরণসমূহ উপপাদন করেন। আইনস্টাইন সাধারণ আপেক্ষিকতার জন্য এই ক্ষেত্র সমীকরণসমূহের গোড়াপত্তন করেছিলেন। ফ্রিডম্যান সমীকরণ উপপাদনের পর কুণ্ডলাকার নীহারিকার ক্রম পশ্চাদপসারণের উপর ভিত্তি করে লেমাইট্র প্রস্তাব করেন যে, মহাবিশ্ব একটি \"সুপ্রাচীন পরমাণু\" থেকে উৎপত্তি লাভ করেছে, যে প্রস্তাব বর্তমানে মহা বিস্ফোরণ নামে পরিচিত।",
"মহাবিস্ফোরণ তত্ত্ব\nকিছু সময়ের জন্য স্থির অবস্থা এবং মহাবিস্ফোরণ দুইটি তত্ত্বেরই যথেষ্ট গ্রহণযোগ্যতা ছিল বিধায় বিতর্কেরও অবকাশ ছিল প্রচুর। কিন্তু সময়ের আবর্তে অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ সাধিত হয় যার অধিকাংশই প্রথমটির বদলে দ্বিতীয় তত্ত্বের গ্রহণযোগ্যতার সাক্ষ্য দেয়। ১৯৬৪ সালে মহাজাগতিক অণুতরঙ্গ পটভূমি বিকিরণ আবিষ্কৃত হওয়ার পর মহাবিস্ফোরণ তত্ত্ব মহাবিশ্বের উৎপত্তি ও বিবর্তন ব্যাখ্যার জন্য সবচেয়ে উপযোগী তত্ত্ব হিসেবে গৃহীত হয়। আধুনিককালে বিশ্বতাত্ত্বিক গবেষণার অন্যতম একটি বিষয়ই হচ্ছে মহাবিস্ফোরণ তত্ত্বের আলোকে ছায়াপথসমূহের সৃষ্টি ও বিবর্তন প্রক্রিয়া উদ্ঘাটন করা। এছাড়াও ঠিক কি কারণে এবং কিভাবে মহাবিস্ফোরণ সংঘটিত হয়েছিলো তা বিশ্বতাত্ত্বিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিচার করা হয়। মহাবিস্ফোরণের মূল তত্ত্বের সাথে বাস্তব পর্যবেক্ষণের সমন্বয় সাধনের উপরই বর্তমান বিশ্বতত্ত্বের অগ্রগতি অনেকাংশে নির্ভর করছে। ১৯৯০-এর দশক থেকে মহাবিস্ফোরণ সংশ্লিষ্ট গবেষণা অনেক সহজ হয়ে দাড়িয়েছে। অতি উচ্চ ক্ষমতাবিশিষ্ট দূরবীক্ষণ যন্ত্র এবং এর সঠিক কার্যকারিতা একে সম্ভব করে তুলেছে। বর্তমানে মানুষের রয়েছে কোবে, হাবল স্পেস টেলিস্কোপ এবং ডব্লিউএমএপি 'র মত উচ্চ ক্ষমতার দুরবীন। ফলে বর্তমান বিশ্বতত্ত্ববিদরা অনেক সহজে মহাবিস্ফোরণের বিভিন্ন রাশি পরিমাপ করতে পারে। এর ফলে একটি অপ্রত্যাশিত আবিষ্কার সম্ভব হয়েছে; আর তা হলো সম্প্রসারণশীল মহাবিশ্বের ত্বরমান হওয়ার প্রমাণ (দেখুন: গুপ্ত শক্তি)।",
"মহাবিস্ফোরণ তত্ত্ব\n\"আরও দেখুন: বিশ্বতত্ত্বের কালপঞ্জি\"\nমহাবিশ্বের গঠন এবং এর সাথে তত্ত্বের সমন্বয় সাধনের চেষ্টা থেকেই মহাবিস্ফোরণ তত্ত্বের উৎপত্তি হয়েছে। মহাকাশ পর্যবেক্ষকরা দেখতে পান যে অধিকাংশ সর্পিল নীহারিকা পৃথিবী থেকে ক্রমশ দূরে সরে যাচ্ছে। অবশ্য বিশ্বতাত্ত্বিক দৃষ্টিকোণ থেকে এর ব্যাখ্যা আরও পরে হয়েছে, বর্তমানে আমরা জানি, যে নীহারিকাগুলো পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে, সেগুলো আসলে নীহারিকা নয়, বরং আমাদের আকাশগঙ্গার বাইরের ছায়াপথ ছিল। বেলজিয়ামের একজন রোমান ক্যাথলিক ধর্মপ্রচারক জর্জ ল্যমেত্র্ ১৯২৭ সালে প্রথম স্বাধীনভাবে আইনস্টাইনের ক্ষেত্র সমীকরণ থেকে ফ্রিদমান সমীকরণসমূহ উপপাদন করেন। আইনস্টাইন সাধারণ আপেক্ষিকতার জন্য এই ক্ষেত্র সমীকরণগুলোর গোড়াপত্তন করেছিলেন। ফ্রিদমান সমীকরণ উপপাদনের পর সর্পিল নীহারিকার ক্রম পশ্চাদপসারণের উপর ভিত্তি করে ল্যমেত্র প্রস্তাব করেন, মহাবিশ্ব একটি \"সুপ্রাচীন পরমাণু\" থেকে উৎপত্তি লাভ করেছে, যে প্রস্তাব বর্তমানে মহাবিস্ফোরণ নামে পরিচিত।",
"নিকোলাউস কোপের্নিকুস\nফিলোলাস তার জ্যোতির্বিদ্যা সংক্রান্ত পদ্ধতিতে মহাবিশ্বের কেন্দ্রে সুর্যের পরিবর্তে আগুন কল্পনা করেন এবং এর চারিদিকে পৃথিবী, চন্দ্র, গ্রহ এবং তারা ঘুরছে। হেরাক্লিডেস পনটিকাস(৩৮৭-৩১২ খৃষ্টপূর্ব) প্রস্তাব করেন পৃথিবী তার নিজের কেন্দ্রে ঘুরছে। আবিস্টারকাস সামোস হলেন প্রথম ব্যক্তি যিনি কিনা প্রথম হেলিওসেন্ট্রিক ত্বত্ত্ব প্রদান করেন। তবে তিনি তার কাজের সবকিছু হারিয়ে ফেলেন। তবে আর্কিমিডিসের বইয়ে(দি স্যান্ড রকনার) পড়ে হেলিও সেন্ট্রিক মডেলের নীতি উন্নতি করেন। থমাস হেড আর্কিমিডিসের বইয়ের ইংরেজী অনুবাদ করেন। সেখানে বলা হয়- “তুমি এখন পৃথিবীর কেন্দ্র সম্পর্কে সচেতন, পৃথিবীর ও সুর্যের ব্যাসার্ধ সম্পর্কে জানো। এটা খুব সাধারণ সকল জ্যোতির্বিদদের জন্য কিন্তু সামোস যে বইটি নিয়ে আসেন তা এই মহাবিশ্বের জন্য অনেক কিছু। তার অনুসিদ্ধান্ত দ্বারা চন্দ্র, সুর্যের অবস্থান, পৃথিবী সুর্যের ঘূর্ণন, চন্দ্র, সুর্য ও পৃথিবীর দুরত্ব বের করা সম্ভব।“\nকোপার্নিকাস মূলত সামোসের অনুলিপি থেকেই নিজের চিন্তাধারার সুত্রপাত করে করেন। তার বই তে প্রতমে এই উল্লেখ করেন তবে তার শেষ সংস্করণে তিনি তা মুছে ফেলেন। \nকোপার্নিকাসের পিথারোগাসের পদ্ধতি ব্যবহার করেন পৃথিবীর অবস্থা নির্ণয়ের জন্য। পিথারোগাসের পদ্ধতি এরিস্টটলের আগেই উল্লেখ করা করেছিলেন। কোপার্নিকাস সামোসের “দি এক্সপেন্ডিস এট ফাজেনডিস রিবাস” একটি কপি জর্জিয়াও ভালার কাছে থেকে সংগ্রহ করেন। যেখানে সামোসের হেলিওসেন্ট্রিক তত্ত্বের বর্ণনা ছিলো। \nকোপার্নিকাস তার বইয়ের জন্য নিজেকে উতসর্গ করেন। এই নিয়ে মানুষের মন্তব্যের কোন ধরণের তোয়াক্কা করেননি। তিনি তার পর্যবেক্ষণ এবং কাজ চালিয়ে যান। কোপার্নিকাস এই হেলিওসেন্ট্রিক তত্ত্বের কিছু গাণিতিক ব্যাখ্যা দুজন মুসলিম জ্যোতির্বিজ্ঞানী “নাসির আল-দ্বীন আল তুসি” এবং “ইবনে আল শাতিরের” জিওসেন্ট্রিক মডেল থেকে সংগ্রহ করেন। তিনি সঠিকভাবে অনেক ধ্রুবক, গ্রহের পথ, সৌরজগতের নক্ষত্রের গতির ব্যাখ্যা দেন।"
] | 50 |
মার্কিন চলচ্চিত্র, মঞ্চ, এবং টেলিভিশন অভিনেতা ও প্রযোজক রিচার্ড উইড উইডমার্কের অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্রের নাম কী ? | [
"রিচার্ড উইডমার্ক\nরিচার্ড উইড উইডমার্ক (ডিসেম্বর ২৬, ১৯১৪-মার্চ ২৪, ২০০৮) একজন মার্কিন চলচ্চিত্র, মঞ্চ, এবং টেলিভিশন অভিনেতা ও প্রযোজক। \nতিনি তাঁর সর্বপ্রথম অভিনীত চলচ্চিত্র “কিস অফ ডেথ” – এ টমি উডো নামে একজন খলনায়কের ভূমিকায় অভিনয়ের জন্য অস্কার মনোনয়ন পেয়েছিলেন। তিনি গোল্ডেন গ্লোব জয়ী হন সবচেয়ে উজ্জ্বল নবাগত হিসেবে। অভিনয় জীবনের শুরুর দিকে তিনি নোয়া চলচ্চিত্রে খলনায়কের ভূমিকায় বেশী অভিনয় করেন, তবে পরে তিনি নায়কের চরিত্রে অভিনয় করেন ওয়েস্টার্ন, নাট্য এবং ভয়ের চলচ্চিত্রে।\nচলচ্চিত্র জগতে অবদানের জন্য হলিউড ওয়াক অফ ফেইম-এ উইডমার্কের একটি তারকা আছে।",
"রিচার্ড উইডমার্ক\nউইডমার্কের প্রথম চলচ্চিত্রাভিনয় ছিল ১৯৪৭ সালের “কিস অফ ডেথ” ছায়াছবিতে। চলচ্চিত্রটিতে তিনি টমি উডো নামের চাপা হাসিমাখা একজন চিত্তবিকারগ্রস্তের ভূমিকায় অভিনয় করেন। তাঁর বিখ্যাত দৃশ্যটি ছিল যেখানে উডো হুইল চেয়ারে বসা একজন বিকলাঙ্গ নারীকে সিঁড়ি থেকে ফেলে দিয়ে হত্যা করে। এই ছায়াছবিতে উইডমার্কের অভিনয় করা নিয়ে বিতর্ক ছিল। উইডমার্ক বলেন “পরিচালক হেনরি হ্যাথাওয়ে আমাকে চাননি। আমার ছিল উঁচু ললাট, এবং হ্যাথাওয়ের মতে তা আমাকে একজন জ্ঞানী ব্যক্তির মত দেখাত।“ ছবিটি সমালোচনা এবং বাণিজ্যিক দিক থেকে সফল ছিল। উইডমার্ক বছরের নতুন তারকা হিসেবে গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার অর্জন করেন এবং পার্শ্ব অভিনেতার হিসেবে অস্কারের মনোনয়ন পান।"
] | [
"অ্যান্থনি কোয়েল\nস্যার জন অ্যান্থনি কোয়েল, সিবিই (; ৭ সেপ্টেম্বর ১৯১৩ - ২০ অক্টোবর ১৯৮৯) ছিলেন একজন ইংরেজ অভিনেতা ও মঞ্চ নির্দেশক। তিনি মঞ্চ, টেলিভিশন ও ত্রিশের অধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। \"আইস কোল্ড ইন অ্যালেক্স\" (১৯৫৮) চলচ্চিত্রে অভিনয় করে তিনি শ্রেষ্ঠ ব্রিটিশ অভিনেতা বিভাগে বাফটা পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। এছাড়া তিনি \"অ্যান অব দ্য থাউজেন্ড ডেজ\" (১৯৬৯) চলচ্চিত্রে টমাস উলসি চরিত্রে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা বিভাগে একাডেমি পুরস্কার ও গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। তার অভিনীত অন্যান্য উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র হল \"দ্য রং ম্যান\" (১৯৫৭), \"দ্য গানস অব নাভারোন\" (১৯৬১) ও \"লরেন্স অব অ্যারাবিয়া\" (১৯৬৩)।",
"রিচার্ড জেনকিন্স\nজেনকিন্সের কর্মজীবন শুরু হয় ট্রিনিটি রিপার্টরি কোম্পানিতে মঞ্চে কাজ দিয়ে এবং তার চলচ্চিত্রে অভিষেক হয় ১৯৭৪ সালে। তিনি ১৯৮০-এর দশক থেকে চলচ্চিত্র ও টেলিভিশনে কাজ করতে থাকেন, বেশিরভাগই পার্শ্ব চরিত্রে। তার প্রথম প্রধান চরিত্রে কাজ ছিল ২০০০-এর দশকে এইচবিওর নাট্যধর্মী ধারাবাহিক \"সিক্স ফিট আন্ডার\" (২০০১-২০০৫)। এছাড়া তিনি এই দশকে \"দ্য ভিজিটর\" (২০০৭), \"বার্ন আফটার রিডিং\" (২০০৮), \"স্টেপ ব্রাদার্স\" (২০০৮), \"লেট মি ইন\" (২০১০) এবং \"জ্যাক রিচার\" (২০১২)। \"দ্য ভিজিটর\" চলচ্চিত্রে তার ভূমিকার জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন।",
"এডি রেডমেইন\nরেডমেইন ২০০৯-১০ সালে \"রেড\" ও ২০১১-১২ সালে \"দ্বিতীয় রিচার্ড\" মঞ্চনাটকে অভিনয় করেন। \"রেড\" নাটকে অভিনয়ের জন্য তিনি সেরা মঞ্চ অভিনেতা হিসেবে টনি পুরস্কার লাভ করেন। তার চলচ্চিত্রে প্রথম সেরা কাজ হল জীবনীমূলক নাট্য চলচ্চিত্র \"মাই উয়িক উইথ মেরিলিন\" (২০১১) এবং সঙ্গীতধর্মী \"লে মিজেরাবল\" (২০১২)। ২০১৪ সালে তিনি ইংরেজ পদার্থ বিজ্ঞানি স্টিভেন হকিংয়ের ভূমিকায় \"দ্য থিওরি অভ এভরিথিং\" চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেতার জন্য একাডেমি পুরস্কার, গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার ও বাফটা পুরস্কার অর্জন করেন। পরের বছর তিনি \"দ্য ডেনিশ গার্ল\" ছবিতে প্রথম যৌন রূপান্তরকারী সার্জারিকারী লিলি এলবির ভূমিকায় অভিনয় করেন এবং শ্রেষ্ঠ অভিনেতার জন্য একাডেমি পুরস্কার, গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার ও বাফটা পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। ২০১৬ সালে তিনি ফ্যান্টাসি চলচ্চিত্র \"ফ্যান্ট্যাস্টিক বিস্ট্স অ্যান্ড হোয়্যার টু ফাইন্ড দেম\"-এ অভিনয় করেন।",
"ফ্রাঞ্চট টোন\nস্টেনিস্লাউস পাসকেল ফ্রাঞ্চট টোন (; জন্ম: ২৭ ফেব্রুয়ারি ১৯০৫ - ১৮ সেপ্টেম্বর ১৯৬৮) ছিলেন একজন মার্কিন অভিনেতা, পরিচালক ও প্রযোজক। তিনি মঞ্চ, চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন কাজ করেছেন। তিনি ক্লার্ক গেবল ও চার্লস লটনের সাথে \"মিউটিনি অন দ্য বাউন্টি\" (১৯৩৫) চলচ্চিত্রে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। তার অভিনীত অন্যান্য উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র হল \"ড্যান্সিং লেডি\" (১৯৩৩), \"দ্য লাইভস্ অব আ বেঙ্গল ল্যান্সার\" (১৯৩৫), \"ডেঞ্জারাস\" (১৯৩৫), \"ফাইভ গ্রেভস টু কায়রো\" (১৯৪৩), \"অ্যাডভাইস অ্যান্ড কনসেন্ট\" (১৯৬২), ও \"ইন হার্ম্স ওয়ে\" (১৯৬৫)। এছাড়া তিনি কয়েকটি টেলিভিশন ধারাবাহিকের কিছু পর্বে অতিথি তারকা হিসেবে অভিনয় করেছেন, তন্মধ্যে রয়েছে \"দ্য টোয়ালাইট জোন\" এবং \"দ্য অ্যালফ্রেড হিচকক আওয়ার\"।",
"রেমন্ড ম্যাসি\nরেমন্ড হ্যার্ট ম্যাসি (; ৩০ আগস্ট ১৮৯৬ - ২৯ জুলাই ১৯৮৩) ছিলেন একজন কানাডীয়-মার্কিন অভিনেতা, পরিচালক ও প্রযোজক। তিনি তার মঞ্চে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কণ্ঠের জন্য পরিচিত ছিলেন। \"অ্যাব লিংকন ইন ইলিনয়\" (১৯৪০) চলচ্চিত্রে নাম ভূমিকায় অভিনয় করে তিনি শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। তার অভিনীত অপর একটি বিখ্যাত চরিত্র হল এনবিসি টেলিভিশনের ধারাবাহিক \"ডক্টর কিলডেয়ার\" (১৯৬১-১৯৬৬)-এ ডক্টর গিলস্পি।",
"আর্থার পেন\nআর্থার হিলার পেন (; জন্ম: ২৭ সেপ্টেম্বর ১৯২২ - ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১০) ছিলেন একজন মার্কিন পরিচালক ও প্রযোজক। তিনি চলচ্চিত্র, টেলিভিশন ও মঞ্চ - তিন মাধ্যমেই কাজ করেছেন। পেন মঞ্চে \"দ্য মিরাকল ওয়ার্কার\" নাটক পরিচালনার জন্য ১৯৬০ সালে শ্রেষ্ঠ পরিচালনা বিভাগে টনি পুরস্কার অর্জন করেন। ১৯৬০-এর দশক জুড়ে একাধিক সমাদৃত চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন, তন্মধ্যে রয়েছে নাট্যধর্মী \"দ্য মিরাকল ওয়ার্কার\" (১৯৬২), জীবনীমূলক অপরাধধর্মী \"বনি অ্যান্ড ক্লাইড\" (১৯৬৭), হাস্যরসাত্মক \"অ্যালিসেস রেস্টুরেন্ট\" (১৯৬৯)। এই তিনটি চলচ্চিত্রের জন্য তিনি তিনবার শ্রেষ্ঠ পরিচালনা বিভাগে একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। এছাড়া তিনি পশ্চিমা ঘরানার \"লিটল বিগ ম্যান\" (১৯৭০) ছবিতে কাজ করে সকলের নজর কাড়েন।",
"ইংমার বারিমান\nইংমার বারিমান (সুয়েডীয় \"ইংমার্ ব্যার্য়্মান্\", ১৪ই জুলাই ১৯১৮ - ৩০শে জুলাই ২০০৭) সুয়েডীয় চলচ্চিত্র পরিচালক, চিত্রনাট্যকার, মঞ্চ পরিচালক ও নির্দেশক এবং নাট্যকার। বিখ্যাত মার্কিন চলচ্চিত্রকার উডি অ্যালেনের মতে তিনি এযাবৎ যত চলচ্চিত্রকার জন্ম নিয়েছেন তাদের সবার সেরা। চলচ্চিত্র, টেলিভিশন এবং রেডিও- সকল মাধ্যমেই তিনি কাজ করেছেন। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সবচেয়ে জনপ্রিয় হয়ে আছেন \"দ্য সেভেন্থ সিল\" (১৯৫৭), \"ওয়াইল্ড স্ট্রবেরিস\" (১৯৫৭), \"থ্রু আ গ্লাস ডার্কলি\" (১৯৬১), \"উইন্টার লাইট\" (১৯৬১), \"দ্য সায়লেন্স\" (১৯৬৩), এবং \"ক্রাইস অ্যান্ড হুইস্পারস\" (১৯৭২) এর মত সিনেমাগুলোর জন্য।",
"অরসন ওয়েলস\nজর্জ অরসন ওয়েলস () (৬ই মে, ১৯১৫ - ১০ই অক্টোবর, ১৯৮৫) ছিলেন বিখ্যাত মার্কিন চলচ্চিত্র পরিচালক, অভিনেতা, লেখক এবং প্রযোজক। তিনি মঞ্চ নাটক, রেডিও এবং চলচ্চিত্রে প্রায় সমান তালে কাজ করেছেন। তিনটি মিডিয়াতেই অনন্য এবং উদ্ভাবনী কাজের জন্য বিখ্যাত হয়ে আছেন। তার ব্রডওয়েতে মঞ্চায়িত নাটক \"সিজার\" (১৯৩৭) বিপুল প্রশংসা অর্জন করেছিল এবং এখনও এটি শেকসপিয়রের জুলিয়াস সিজার নাটকের অন্যতম উৎকৃষ্ট মঞ্চায়ন হিসেবে স্বীকৃত। এই নাটকের মাধ্যমেই মার্কারি থিয়েটার যাত্রা শুরু করেছিল। তার বেতার অনুষ্ঠান \"দ্য ওয়ার অফ দ্য ওয়ার্ল্ডস\" যুক্তরাষ্ট্রের বেতার সম্প্রচারের ইতিহাসে সবচেয়ে বিখ্যাত অনুষ্ঠান হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। আর তার সিটিজেন কেইন (১৯৪১) সিনেমাকে অনেক সমালোচক ও পণ্ডিত সর্বকালের সেরা চলচ্চিত্র হিসেবে আখ্যায়িত করেন।"
] | 20 |
কনস্টান্টিনোপল সাম্রাজ্য কবে প্রতিষ্ঠিত হয় ? | [
"কনস্টান্টিনোপল বিজয়\nরোমান সম্রাট কন্সট্যান্টাইন কর্তৃক ৩৩০ খ্রিষ্টাব্দ থেকে কনস্টান্টিনোপল রাজধানী হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছিল। পরবর্তী ১১ শতাব্দী যাবত শহরটি বেশ কয়েকবার অবরোধ সম্মুখীন হলেও ১২০৪ খ্রিষ্টাব্দে চতুর্থ ক্রুসেডের সময় ছাড়া এটি কেউ দখল করতে পারেনি। ক্রুসেডাররা কনস্টান্টিনোপলকে ঘিরে একটি অস্থায়ী ল্যাটিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে। তবে সাম্রাজ্যের বাকি অংশ বেশ কিছু গ্রীক রাষ্ট্র, বিশেষ করে নাইসিয়া, এপিরাস ও ট্রেবিজন্ডে বিভক্ত হয়ে পড়ে। এই গ্রীকরা মিত্র হিসেবে ল্যাটিন শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করলেও বাইজেন্টাইন মুকুটের জন্যও নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগীতায় লিপ্ত হয়।",
"কনস্টান্টিনোপল\nকনস্টান্টিনোপল (; ; ; and modern ) শহরটি ছিল রোমান সাম্রাজ্য, বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্য, ল্যাটিন সাম্রাজ্য ও উসমানীয় সাম্রাজ্যের রাজধানী। ৩২৪ খ্রিষ্টাব্দে সাবেক বাইজেন্টিয়ামে সম্রাট কন্সটান্টাইন কর্তৃক এটি পুনরায় উদ্বোধন করা হয়। তার নামে এটির নামকরণ করা হয় ও ৩৩০ এর ১১ মে উৎসর্গিত হয়। ১২ শতকে এটি ইউরোপের সর্ববৃহৎ ও সর্বাপেক্ষা ধনী শহর ছিল।"
] | [
"উসমানীয় সাম্রাজ্য\nউসমানীয় সাম্রাজ্য (, আধুনিক তুর্কি: ), ঐতিহাসিকভাবে তুর্কি সাম্রাজ্য বা তুরস্ক বলে পরিচিত, ছিল একটি ইসলামি সাম্রাজ্য। ১২৯৯ সালে অঘুজ তুর্কি বংশোদ্ভূত প্রথম উসমান উত্তরপশ্চিম আনাতোলিয়ার দ্বায়িত্ব পান সেলযুক সাম্রাজ্য কতৃক। প্রথম দিকে সেলযুক সাম্রাজ্যের প্রতি অনুগত থাকলেও সেলজুক সাম্রাজ্যের ক্রান্তিলগ্নে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন।\nএবং ধীরে ধীরে একটি বৃহত সালতানাত প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি সেলজুক রাজবংশের জামাতাও ছিলেন এবং প্রথম উসমানের মাতা হালিমে সুলতান ছিলেন সেলজুক শাহজাদা নুমান এর মেয়ে অর্থাৎ আর্তুগুলের স্ত্রী প্রথম মুরাদ কর্তৃক বলকান জয়ের মাধ্যমে উসমানীয় সাম্রাজ্য বহুমহাদেশীয় সাম্রাজ্য হয়ে উঠে এবং খিলাফতের দাবিদার হয়। ১৪৫৩ সালে সুলতান দ্বিতীয় মুহাম্মদের কনস্টান্টিনোপল জয় করার মাধ্যমে উসমানীয়রা বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্য উচ্ছেদ করে।\n১৫২৬ সালে হাঙ্গেরি জয়ের পর ইউরোপের বলকান অঞ্চল সমূহ নিয়ে বড় রাজ্য প্রতিষ্ঠা লাভ করে।\n১৬শ ও ১৭শ শতাব্দীতে বিশেষত সুলতান প্রথম সুলাইমানের সময় উসমানীয় সাম্রাজ্য দক্ষিণপূর্ব ইউরোপ, উত্তরে রাশিয়া কৃষ্ণ সাগর, পশ্চিম এশিয়া, ককেসাস, উত্তর আফ্রিকা ও হর্ন অব আফ্রিকা জুড়ে , মধ্যপ্রাচ্য ও আরব অঞ্চলসহবিস্তৃত একটি শক্তিশালী বহুজাতিক, বহুভাষিক সাম্রাজ্য ছিল। ১৭শ শতাব্দীর শুরুতে সাম্রাজ্যে ৩৬টি প্রদেশ ও বেশ কয়েকটি অনুগত রাজ্য ছিল। এসবের কিছু পরে সাম্রাজ্যের সাথে একীভূত করে নেয়া হয় এবং বাকিগুলোকে কিছুমাত্রায় স্বায়ত্ত্বশাসন দেয়া হয়।",
"কনস্টান্টিনোপল বিজয়\nবাইজেন্টিয়াম শব্দটি দ্বারা আধুনিক ইতিহাসবিদরা পরবর্তী রোমান সাম্রাজ্যকে বোঝান। কনস্টান্টিনোপল থেকে শাসন করা সাম্রাজ্যকে তৎকালীন সময়ে “রোমান সাম্রাজ্য” বলা হত। সম্রাট কনস্টান্টাইন এই শহরের নাম দিয়েছিলেন “নতুন রোম”। কনস্টান্টিনোপলের পতনের পর এর উত্তরাধিকার নিয়ে কোন্দল শুরু হয়। রাশিয়ানরা নিজেদেরকে বাইজেন্টাইন উত্তরাধিকারী হিসেবে দাবি করে। সুলতান মুহাম্মদ নিজেকে রোমান সাম্রাজ্যের উত্তরাধিকারী হিসেবে গণ্য করতেন এবং নিজেকে ‘’কায়সার-ই রুম’’ বা রোমের সিজার হিসেবে ঘোষণা করেন। তবে তাকে “বিজয়ী” হিসেবেই বেশি স্মরণ করা হয়। তার প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক ব্যবস্থা ১৯২২ খ্রিষ্টাব্দে তুর্কি প্রজাতন্ত্রের প্রতিষ্টাকাল পর্যন্ত স্থায়ী ছিল। এই আদর্শিক সংঘাত রাশিয়া ও উসমানীয় সাম্রাজ্যের মধ্যে যুদ্ধে ইন্ধন যোগায়। আঠারো ও উনিশ শতকে রুশ সেনারা ধীরে ধীরে কনস্টান্টিনোপলের দিকে অগ্রসর হয়। ১৮৭৭-১৮৭৮ এর রুশ-তুর্কি যুদ্ধের সময় রুশ সেনারা টোপকাপি প্রাসাদের দশ মাইল (১৬ কিমি) পশ্চিমে কনস্টান্টিনোপলের ইয়েশিলকো শহরতলীতে এসে পৌছায়।",
"কনস্টান্টিনোপল বিজয়\nকনস্টান্টিনোপল বিজয় (, \"\"; )\nরাসুল মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু সাল্লাম এর ভবিষ্যৎবাণী কনস্টান্টিনোপল বিজয়,১৪৫৩ খ্রিষ্টাব্দে উসমানীয় সুলতান উসমানীয় সাম্রাজ্য সুলতান দ্বিতীয় মুহাম্মদ কর্তৃক শহরটি অধিকারের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়। পূর্বে এটি পূর্ব রোমান (বাইজেন্টাইন) সাম্রাজ্যের রাজধানী ছিল। শহর অধিকারের পূর্বে এটি জুলিয়ান ক্যালেন্ডার অনুসারে ১৪৫৩ খ্রিষ্টাব্দের ৬ এপ্রিল থেকে ২৯ মে পর্যন্ত অবরোধের সম্মুখীন হয়। এরপর চূড়ান্তভাবে শহরটি উসমানীয়দের অধিকারে আসে। তারও পুর্বে মহান সেলযুক সুলতান আল্প আরসালান ও শহরটি জয় করেছিলেন কিন্তু এর দখল ধরে রাখতে পারেননি।",
"বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্য\n২৯৩ খ্রিস্টাব্দে, সম্রাট ডিওক্লেটিয়ান তাঁর সাম্রাজ্যের সমস্ত বিপন্ন অঞ্চলে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা প্রদানের জন্য একটি নতুন প্রশাসনিক ব্যবস্থা (টেট্রার্কি) তৈরি করেন। তিনি একজন সহ-সম্রাট (অগাস্টাস) নিয়ে নিজের সাথে যুক্ত করেন, এবং প্রতিটি সহ-সম্রাট তখন তার শাসনে অংশ নেওয়ার জন্য এবং পরে সিনিয়র পার্টনার হওয়ার জন্য সিজারের শিরোনামের একজন যুবক সহকর্মীকে গ্রহণ করেন। তবে, ৩১৩ সালে টেট্রার্কি ব্যবস্থার পতন হয় এবং কয়েক বছর পরে কনস্টান্টাইন প্রথম, সাম্রাজ্যের দুটি প্রশাসনিক বিভাগ অদ্বিতীয় অগাস্টাস হিসাবে পুনরুজ্জীবিত করেন।\n৩৩০ সালে, মহান কন্সট্যান্টাইন সাম্রাজ্যের মূল কেন্দ্রটি কনস্টান্টিনোপলে স্থানান্তরিত করেন, যা তিনি বাইজ্যানটিয়ামের একটি দ্বিতীয় রোম হিসাবে প্রতিষ্ঠা করেন। কনস্টান্টিনোপল, ইউরোপ ও এশিয়া এবং ভূমধ্যসাগর ও ব্লাক সির মধ্যকার বাণিজ্যপথে গুরুত্বপূর্নভাবে অবস্থিত একটি শহর। কন্সট্যান্টাইন সাম্রাজ্যের সামরিক, আর্থিক, নাগরিক ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন প্রবর্তিত করেন। তাঁর অর্থনৈতিক নীতির বিষয়ে পণ্ডিতদের দ্বারা তিনি \"বেপরোয়া রাজস্ব\" অভিযুক্ত হয়েছেন, কিন্তু শুদ্ধ স্বর্নমুদ্রা দিয়ে তিনি একটি স্থিতিশীল মুদ্রা চালু করেছিলেন যা অর্থনীতিতে রূপান্তরিত হয়েছিল এবং উন্নয়নে উন্নীত করেছিল।",
"ইউরোপ\nগ্রিক ভাষী অধ্যুষিত পূর্ব রোমান সাম্রাজ্য পশ্চিমে বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্য হিসেবে পরিচিত হয়ে ওঠে। এর রাজধানী ছিলো কনস্টান্টিনোপল। সম্রাট প্রথম জুথিনিয়ান কনস্টান্টিনোপললের প্রথম স্বর্ণযুগে শাসন করেন: তিনি আইনগত নিয়ম প্রতিষ্ঠা করেন, হাজিয়া সোফিয়া নির্মাণ তহবিল দেন এবং রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণের অধীনে খ্রিস্ট গির্জা আনেন। বেশিরভাগ সময়ের জন্য, বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্য ইউরোপের সবচেয়ে শক্তিশালী, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক, এবং সামরিক বাহিনী ছিল। ১২০৪ সালে কনস্ট্যান্টিনোপোলের ধ্বংসসাধনে মারাত্মকভাবে দুর্বল, চতুর্থ ক্রুসেডের সময়, উসমানীয় সাম্রাজ্যের হাতে বাইজেন্টাইনের ১৪৫৩ সালে পতন ঘটে।",
"কনস্টান্টিনোপল বিজয়\n১৪৫০ খ্রিষ্টাব্দ নাগাদ সাম্রাজ্য ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে পড়ে। এসময় শহরের বাইরের কয়েক বর্গ মাইল, মারমারা সাগরের প্রিন্স দ্বীপ ও পেলোপন্নিস ও এর সাংস্কৃতিক কেন্দ্র মিস্ট্রাস নিয়ে গঠিত ছিল। চতুর্থ ক্রুসেডের ফলশ্রুতিতে সৃষ্ট স্বাধীন ট্রেবিজন্ড সাম্রাজ্য কৃষ্ণ সাগরের উপকূলে টিকে ছিল।",
"কাতিপ চেলেবি\nকাতিপ চেলেবি কনস্টান্টিনোপলে জন্মগ্রহণ করেন, এসময় তার নাম ছিল মুস্তাফা বিন আবদুল্লাহ। পাঁচ বা ছয় বছর বয়সে তিনি পড়ালেখা শুরু করেন। চৌদ্দ বছর বয়সে তিনি সাম্রাজ্যের রাষ্ট্রীয় অর্থনৈতিক দপ্তরে শিক্ষানবিশ হিসেবে যোগ দেন। উসমানীয় সেনাবাহিনীর রসদ বিভাগের হিসাবরক্ষক হিসেবে কাজ করার সুবাদে তিনি ১৬২৪ সালে আবাজা মুহাম্মদ পাশার বিদ্রোহ দমনের সময় সেনাবাহিনীর সাথে যোগ দিয়েছিলেন। এছাড়াও তিনি ১৬২৩-১৬৩৯ সালের উসমানীয়-সাফাভি যুদ্ধের সময়ও সেনাবাহিনীর সাথে অংশ নিয়েছিলেন। এর মধ্যে রয়েছে ১৬২৫ সালের বাগদাদ অভিযান ও এরজুরুম অবরোধ। ১৬২৮ সালে তিনি কনস্টান্টিনোপল ফিরে আসেন। পরের বছর তিনি পুনরায় বাগদাদ এবং হামাদান যান। ১৬৩৩-৩৪ সালে তিনি আলেপ্পো ছিলেন। এরপর তিনি হজের জন্য মক্কা সফর করেন। এরপরের বছর তিনি এরিভান হয়ে কনস্টান্টিনোপল ফিরে আসেন। এখানে তিনি রসদ বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্বলাভ করেন। ১৬৪৫ সালে উত্তরাধিকারের মাধ্যমে প্রাপ্ত সম্পদের ফলে তিনি রাজধানীতে সচ্ছলভাবে বসবাস করতে সক্ষম হন এবং জ্ঞানসাধনায় আত্মনিয়োগ করেন। কাতিপ চেলেবি ১৬৫৭ সালে মারা যান।",
"ক্যাথিড্রাল অব দ্য মোস্ট হোলি রোজারি\n১৬৯০ সালে জব চার্নক কলকাতাকে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির বাণিজ্যকেন্দ্র হিসেবে নির্বাচিত করেন। হুগলির পর্তুগিজেরা এই নতুন শহরে এসে বসবাস শুরু করেন। তারা একটি চ্যাপেল তৈরি করেছিল। অগাস্টিয়ান পাদ্রিরা সেই চ্যাপেলের দায়িত্বে ছিলেন। ১৭৯৭ সালে ক্যাথিড্রালটি স্থাপিত হয়। ১৭৯৯ সালে চ্যাপেলের পরিবর্তে এই ক্যাথিড্রালটিই কার্যকর করা হয়। ১৮৩৪ সাল পর্যন্ত এটিই ছিল কলকাতার প্রধান চার্চ অফ দ্য প্যাড্রোয়াডো। পরে এটি নবগঠিত ভিসারিয়েট অ্যাপোস্টোলিক অফ বেঙ্গলের প্রথম প্যারিশ চার্চে পরিণত হয়। ১৯২১ সালে সেলসিয়ানরা জেসুইটদের থেকে দায়িত্ব গ্রহণ করে। ১৯৭২ সালে তারা ডায়োসিয়ান ক্লার্জির হাতে ক্ষমতা তুলে দেয়। ১৯৭৯ সালে ক্যাথিড্রাল অ্যানেক্সটি গঠিত হয়।",
"কনস্টান্টিনোপল বিজয়\nবাইজেন্টাইন সম্রাট একাদশ কনস্টান্টাইন সুলতান মুহাম্মদের উদ্দেশ্য বুঝতে পারেন এবং পশ্চিম ইউরোপের কাছে সাহায্য চেয়ে আবেদন করেন। কিন্তু শতাব্দীব্যাপী যুদ্ধ ও পূর্ব ও পশ্চিমের চার্চের মধ্যকার বিরোধের ফলে কাঙ্খিত সাহায্য পাওয়া যায়নি। ১০৫৪ খ্রিষ্টাব্দ থেকে ইস্টার্ন চার্চের উপর পোপ আধিপত্য আরোপ করছেন বলে অভিযোগ ছিল। ১২৭৪ খ্রিষ্টাব্দে প্রতীকী ইউনিয়ন গঠনের ব্যাপারে আলোচনা হয় এবং প্রকৃতই কিছু পেলেইওলোগি সম্রাটকে ল্যাটিন চার্চে গ্রহণ করা হয়। সম্রাট অষ্টম জন পেলেইওলোগস কিছুকাল পূর্বে ফ্লোরেন্স কাউন্সিলে পোপ চতুর্থ ইউজেনের ইউনিয়নের ব্যাপারে আলোচনা করেন। এসব ঘটনার ফলে কনস্টান্টিনোপলের ইউনিয়নে বিরোধীদের মধ্যে ব্যাপক প্রোপাগান্ডা শুরু হয় এবং বাইজেন্টাইন চার্চের জনগণ ও নেতৃবৃন্দ বিভক্ত হয়ে পড়ে। গ্রীক ও ইটালিয়ানদের মধ্যকার জাতিগত বিদ্বেষ যা ১২০৪ এ ল্যাটিনদের কনস্টান্টিনোপল আক্রমণের সময় থেকে শুরু হয়েছিল, তাও এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলে। ফলে ইউনিয়নটি ব্যর্থ হয়। পোপ পঞ্চম নিকোলাস ও রোমান চার্চ এর ফলে খুবই অসন্তুষ্ট হয়।"
] | 98 |
স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু কত সালে বি.এ পাশ করেন ? | [
"জগদীশ চন্দ্র বসু\nজগদীশ কলকাতার হেয়ার স্কুল থেকে পড়াশোনা করে ১৮৭৯ খ্রিষ্টাব্দে সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ থেকে বিএ পাশ করেন। এই কলেজে ইউজিন ল্যাফন্ট নামক একজন খ্রিষ্টান যাজক প্রাকৃতিক বিজ্ঞানের ওপর তাঁর আগ্রহ বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। এরপর তিনি আইসিএস পরীক্ষায় বসার জন্য ইংল্যান্ডে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করলেও ভগবান চন্দ্র এতে রাজী হননি কারণ তিনি চেয়েছিলেন তাঁর পুত্র একজন বিদ্বান হোন।"
] | [
"জগদীশ চন্দ্র বসু\nবাবার ইচ্ছা ও তার আগ্রহে তিনি ১৮৮০ সালে চিকিৎসাবিজ্ঞান পাঠের উদ্দেশ্যেই লন্ডনের উদ্দেশ্যে পাড়ি জমান, কিন্তু অসুস্থতার কারণে বেশিদিন এই পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারেননি। তাঁর ভগ্নীপতি আনন্দমোহন বসুর আনুকুল্যে জগদীশ চন্দ্র প্রকৃতি বিজ্ঞান সম্বন্ধে শিক্ষালাভের উদ্দেশ্যে কেমব্রিজের ক্রাইস্ট কলেজে ভর্তি হন। এখান থেকে ট্রাইপস পাশ করেন। ১৮৮৪ খ্রিষ্টাব্দে তিনি লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএসসি পাঠ সম্পন্ন করেন। কেম্ব্রিজে জন উইলিয়াম স্ট্রাট, ৩য় ব্যারন রেলি, মাইকেল ফস্টার, জেমস ডেওয়ার, ফ্রান্সিস ডারউইন, ফ্রান্সিস মেটল্যান্ড বালফুর, সিডনি ভাইনসের মতো বিখ্যাত বিজ্ঞানসাধকেরা তাঁর শিক্ষক ছিলেন।",
"জগদীশ চন্দ্র বসু স্মৃতি জাদুঘর\nস্যার জগদীশ চন্দ্র বসু প্রথম সফল বাঙালি বিজ্ঞানী যিনি উদ্ভিদের যে প্রাণ আছে তা আবিস্কার করেন। এছাড়া তিনি বেতার যন্ত্র আবিস্কারের স্বপ্নদ্রষ্টা। তার পৈতৃক বাড়িটির ত্রিশ একর জায়গায় জগদীশ চন্দ্র বসু কলেজ ও কমপ্লেক্স নির্মিত হয়েছে। তার জীবিত অবস্থায় তিনি তার সম্পত্তি দান করে যান। সেখানে ১৯২১ সালে সুরুজ বালা সাহা বিদ্যালয় ও পরে ১৯৯১ সালে জগদীশ চন্দ্র বসু ইনস্টিটিউশন ও কলেজ প্রতিষ্ঠা করা হয়। ২০১১ সালে জগদীশ চন্দ্র বসু কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হয়েছে, যা চলে জগদীশ চন্দ্র বসু ইনস্টিটিউশনের উদ্যোগে। কমপ্লেক্সে নির্মিত হয়েছে জগদীশ চন্দ্র বসু স্মৃতি জাদুঘর, পশু-পাখির ম্যুরাল, কৃত্রিম পাহাড়-ঝরনা ও সিঁড়ি বাধানো পুকুর ঘাট। জাদুঘরে জগদীশ চন্দ্র বসুর পোট্রেট, গবেষণাপত্র, হাতে লেখা পান্ডুলিপি, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নোবেল প্রাপ্তিতে তাকে লেখা চিঠি ও রবীন্দ্রনাথের বসুকে লেখা চিঠি, তেল রং দিয়ে অাঁকা ১৭টি দুর্লভ ছবি, রয়্যাল সোসাইটিতে দেওয়া বক্তৃতার কপি এবং নানা দুর্লভ জিনিস রয়েছে।",
"জগদীশ চন্দ্র বসু\n১৮৮৫ খ্রিষ্টাব্দে জগদীশ চন্দ্র ভারতে ফিরে আসেন। তৎকালীন ভারতের গভর্নর-জেনারেল জর্জ রবিনসন, প্রথম মার্কুইস অব রিপন অনুরোধে স্যার অ্যালফ্রেড ক্রফট বসুকে প্রেসিডেন্সি কলেজে পদার্থবিদ্যার অধ্যাপক নিযুক্ত করেন। কলেজের অধ্যক্ষ চার্লস হেনরি টনি এই নিয়োগের বিপক্ষে ছিলেন। শুধু যে তাঁকে গবেষণার জন্য কোন রকম সুবিধা দেওয়া হত না তাই নয়, তিনি ইউরোপীয় অধ্যাপকদের অর্ধেক বেতনেরও কম অর্থ লাভ করতেন। এর প্রতিবাদে বস্য বেতন নেওয়া বন্ধ করে দেন এবং তিন বছর অবৈতনিক ভাবেই অধ্যাপনা চালিয়ে যান। দীর্ঘকাল ধরে এই প্রতিবাদের ফলে তাঁর বেতন ইউরোপীয়দের সমতুল্য করা হয়। প্রেসিডেন্সি কলেজে গবেষণার কোন রকম উল্লেখযোগ্য ব্যবস্থা না থাকায় একটি ছোট ঘরে তাঁকে গবেষণার কাজ চালিয়ে যেতে হত। পদে পদে প্রতিকূলতা সত্ত্বেও তাঁর বিজ্ঞান সাধনার প্রতি আগ্রহ ভগিনী নিবেদিতাকে বিস্মিত করেছিল। কলেজে যোগ দেওয়ার এক দশকের মধ্যে তিনি বেতার গবেষণার একজন দিকপাল হিসেবে উঠে আসেন।",
"জগদীশ চন্দ্র বসু\nপ্রেসিডেন্সি কলেজে অধ্যাপনার প্রথম আঠারো মাসে জগদীশ যে সকল গবেষণা কাজ সম্পন্ন করেছিলেন তা লন্ডনের রয়েল সোসাইটির জার্নালে প্রকাশিত হয়। এই গবেষণা পত্রগুলোর সূত্র ধরেই লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় ১৮৯৬ সালের মে মাসে তাকে ডিএসসি ডিগ্রী প্রদান করে। এই গবেষণাগুলো একটু ভিন্ন আঙ্গিকে বিচার করতে হবে। প্রতিদিন নিয়মিত ৪ ঘণ্টা শিক্ষকতার পর যেটুকু সময় পেতেন তখন তিনি এই গবেষণার কাজ করতেন। তার উপর প্রেসিডেন্সি কলেজে কোন উন্নতমানের গবেষণাগার ছিলনা, অর্থ সংকটও ছিল প্রকট। সীমিত ব্যয়ে স্থানীয় মিস্ত্রীদেরকে শিখিয়ে পড়িয়ে তিনি পরীক্ষণের জন্য উপকরণ প্রস্তুত করতেন। তার এই গবেষণা কর্মগুলোর গুরুত্ব বিবেচনা করেই ইংল্যান্ডের লিভারপুলে বক্তৃতা দেয়ার জন্য ব্রিটিশ অ্যাসোসিয়েশন তাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। এই বক্তৃতার সাফল্যের পর তিনি বহু স্থান থেকে বক্তৃতার নিমন্ত্রণ পান। এর মধ্যে ছিল রয়েল ইন্সটিটিউশন, ফ্রান্স এবং জার্মানি। সফল বক্তৃতা শেষে ১৮৯৮ সালের এপ্রিল মাসে তিনি সস্ত্রীক দেশে ফিরে এসেছিলেন।",
"জগদীশ চন্দ্র বসু\nইংরেজ সরকারের অধীনে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা থাকা সত্ত্বেও ভগবান চন্দ্র নিজের ছেলেকে ইংরেজি স্কুলে ভর্তি করাননি। জগদীশ চন্দ্রের প্রথম স্কুল ছিল ময়মনসিংহ জিলা স্কুল। বাংলা স্কুলে ভর্তি করানোর ব্যাপারে তাঁর নিজস্ব যুক্তি ছিল। তিনি মনে করতেন ইংরেজি শেখার আগে এদেশীয় ছেলেমেয়েদের মাতৃভাষা আয়ত্ত করা উচিত। বাংলা স্কুলে পড়ার ব্যাপারটি জগদীশ চন্দ্রের জীবনে যেমন গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব বিস্তার করেছে তেমনি বাংলা ভাষাকে সমৃদ্ধ করতেও সাহায্য করেছে। এর প্রমাণ বাংলা ভাষায় রচিত জগদীশের বিজ্ঞান প্রবন্ধগুলো। ভাষার প্রতি বিশেষ মমত্ববোধ ছাড়াও ভগবান চন্দ্র চেয়েছিলেন তার পুত্র দেশের আপামর জনসাধারণের সাথে মিলেমিশে মানুষ হোক এবং তার মধ্যে দেশপ্রেম জাগ্রত হোক। জগদীশ চন্দ্রের পরবর্তী জীবনে তাঁর প্রথম বাংলা স্কুলের অধ্যয় গুরুত্বপূর্ণ ছাপ ফেলেছিল।",
"জগবন্ধু বসু\nজগবন্ধু বসু ১৮৫১ খৃষ্টাব্দ পর্যন্ত ঢাকা কলেজে শিক্ষালাভ করে স্নাতকস্তরে চিকিৎসাবিদ্যা শিক্ষালাভের জন্য কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হন। প্রথম বর্ষের শেষে শব ব্যবচ্ছেদের জন্য শারীরস্থানে এবং চতুর্থ বর্ষের শেষে ধাত্রীবিদ্যায় তিনি গুডিভ পদক লাভ করেন। তিনি দ্বিতীয় বর্ষের শেষে শারীরবিদ্যা ও উদ্ভিদবিজ্ঞানে সাম্মানিক প্রশংসাপত্র লাভ করেন। তিনি দ্বিতীয় বর্ষের শেষে শারীরস্থানে, তৃতীয় বর্ষের শেষে ভেষজবিজ্ঞান ও রসায়নবিজ্ঞানে এবং চতুর্থ বর্ষের শেষে মেডিসিনে স্বর্ণপদক লাভ করেন। ১৮৫৬ খৃষ্টাব্দে চিকিৎসাবিদ্যায় স্নাতক হন এবং ১৮৬৩ খৃষ্টাব্দে তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় হতে তিনি চিকিৎসাবিদ্যায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করেন।",
"রাজশেখর বসু\n১৯০২ খ্রিস্টাব্দে কলকাতার রিপন কলেজ থেকে বি.এল পাশ করে মাত্র তিনদিন আইন ব্যবসায় করেছিলেন। আইন ব্যবসার তুলনায় বিজ্ঞান চর্চাতেই অধিকতর সফলতা লাভের লক্ষ্যে আচার্য স্যার প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। ১৯০১ খ্রিস্টাব্দে সদ্য প্রতিষ্ঠিত বেঙ্গল কেমিক্যাল অ্যান্ড ফার্মাসিউটিক্যাল ওয়ার্কস কোম্পানীতে ১৯০৩ খ্রিস্টাব্দে রাজশেখর তাঁর চাকুরী-জীবনের শুরু করেন। সেখানে তিনি একজন রাসায়নিক হিসেবে সামান্য বেতনে নিযুক্ত হন । স্বীয় দক্ষতায় অল্পদিনেই তিনি আচার্য স্যার প্রফুল্লচন্দ্র রায় ও তৎকালীন ম্যানেজিং ডিরেক্টর ডাঃ কার্তিক বসুর প্রিয়ভাজনর হন। ১৯০৪ খ্রিস্টাব্দে তিনি ঐ কোম্পানীর পরিচালক পদে উন্নীত হন। একদিকে গবেষণার কাজ, অন্যদিকে ব্যবসায় পরিচালনা -- উভয়ক্ষেত্রেই তিনি অসাধারণ দক্ষতার পরিচয় দেন। কেমিস্ট্রি ও ফিজিওলজির মধ্যে যোগসূত্র স্থাপন করে তিনি এক নতুন পদ্ধতির উদ্ভাবন করেন। স্বাস্থ্যহানির দরুন খ্রিস্টাব্দে এখান থেকে অবসর নিলেও উপদেষ্টা এবং পরিচালক পদে আমৃত্যু এই কোম্পানীর সাথে যুক্ত ছিলেন। নিয়মানুবর্তিতা ও সুশৃঙ্খল অভ্যাসের জন্য তাঁর জীবন-যাপন-পদ্ধতি কিংবদন্তিতে পরিণত হয়েছিল।",
"সত্যেন্দ্রনাথ বসু\nসত্যেন্দ্রনাথ বসুর শিক্ষাজীবন শুরু হয় নর্মাল স্কুলে। পরে বাড়ীর সন্নিকটে নিউ ইন্ডিয়ান স্কুলে ভর্তি হন। এরপর তিনি হিন্দু স্কুলে এন্ট্রান্স ক্লাশে ভর্তি হন। সেখান থেকে ১৯০৯ খ্রিস্টাব্দে এন্ট্রান্স পরীক্ষায় পঞ্চম স্থান অধিকার করেন। তারপর ভর্তি হোন প্রেসিডেন্সী কলেজে। ১৯১১ খ্রিস্টাব্দে আই.এস.সি পাশ করেন প্রথম হয়ে। এই কলেজে তিনি সান্নিধ্যে আসেন আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু এবং আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায়ের মতন যশস্বী অধ্যাপকদের। ১৯১৩ খ্রিস্টাব্দে প্রথম শ্রেণীতে প্রথম হয়ে স্নাতক এবং ১৯১৫ খ্রিস্টাব্দে একই ফলাফলে মিশ্র গণিতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করেন।",
"জীবনানন্দ দাশ\nজীবনানন্দ কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজে ভর্তি হন। ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দে তিনি এ কলেজ থেকে ইংরেজিতে অনার্সসহ বি.এ. পাশ করেন। ওই বছরেই \"ব্রাহ্মবাদী\" পত্রিকার বৈশাখ সংখ্যায় তার প্রথম কবিতা ছাপা হয়। কবিতাটির নাম ছিল \"বর্ষ আবাহন\"। কবিতাটিতে কবির নাম ছাপা হয়নি, কেবল সম্মানসূচক \"শ্রী\" কথাটি লেখা ছিল। তবে পত্রিকার বর্ষশেষের নির্ঘণ্ট সূচিতে তার পূর্ণ নাম ছাপা হয়: \"শ্রীজীবনানন্দ দাস, বিএ\"। ১৯২১ খ্রিস্টাব্দে তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দ্বিতীয় বিভাগসহ মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। সে সময়ে তিনি হ্যারিসন রোডের প্রেসিডেন্সি বোর্ডিংয়ে থাকতেন। তবে পরীক্ষার ঠিক আগেই তিনি রক্ত আমাশয় রোগে আক্রান্ত হন, যা তার প্রস্তুতি বাধাগ্রস্ত করে। ১৯২২ খ্রিস্টাব্দে জীবনানন্দ কলকাতার সিটি কলেজে টিউটর হিসেবে অধ্যাপনা শুরু করেন এবং আইনশাস্ত্র অধ্যয়ন ছেড়ে দেন।"
] | 7 |
পাইরেটস অফ দ্য ক্যারিবিয়ান চলচ্চিত্রের প্রধান চরিত্রটির নাম কী ? | [
"পাইরেটস অব দ্য ক্যারিবিয়ান (ধারাবাহিক চলচ্চিত্র)\nপাইরেটস অফ দ্য ক্যারিবিয়ান () হচ্ছে অ্যাডভেঞ্চার চলচ্চিত্রের একটি ধারাবাহিক। এটি পরিচালনা করেছেন গোর ভারবিনস্কি, এবং চিত্রনাট্য লিখেছেন টেড এলিয়ট ও টেরি রোজিও। চলচ্চিত্র ধারাবাহিকটি প্রযোজনা করেছেন জেরি ব্রুখাইমার। চলচ্চিত্রটির কাহিনী গড়ে উঠেছে একই নামের ওয়াল্ট ডিজনির একটি থিম পার্ক রাইডকে ভিত্তি করে। ধারাবাহিকটির মূল চরিত্রগুলোর মধ্যে আছে, ক্যাপ্টন জ্যাক স্প্যারো (চরিত্র রূপায়নে জনি ডেপ), উইল টার্নার (চরিত্র রূপায়নে অরল্যন্ডো ব্লুম), এবং এলিজাবেথ সোয়ান (চরিত্র রূপায়নে কিরা নাইটলি)। ২০০৩ সালে \"\" চলচ্চিত্রের মুক্তির মধ্য দিয়ে এই ধারাবাহিকের শুরু। চলচ্চিত্রটির অপ্রত্যাশিত ব্যবসায়িক সাফল্য প্রত্যক্ষ করার পর ওয়াল্ট ডিজনি পিকচার্স এই চলচ্চিত্র ত্রয়ী সম্পূর্ণ করার কাজ শুরু করে। তিন বছর পর ২০০৬ সালে এই ধারাবাহিকের দ্বিতীয় চলচ্চিত্র \"\" মুক্তি পায়। চলচ্চিত্রের এ পর্বটি অভাবনীয় ব্যবসায়িক সাফল্য লাভ করে। মুক্তির প্রথম দিনেই এটি বিশ্বব্যাপী ব্যবসার রেকর্ড ভঙ্গ করে। বক্স অফিসে এর সর্বমোট আয় ছিলো ১,০৬,৬১,৭৯,৭২৫ মার্কিন ডলার। এটি শত কোটি ডলার আয়ের রেকর্ড করা তৃতীয়, এবং এখন পর্যন্ত বিশ্বের চতুর্থ সর্বোচ্চ আয়কৃত চলচ্চিত্র। এই ধারাবাহিকের তৃতীয় চলচ্চিত্র \"\" মুক্তি পায় ২০০৭ সালে। এটিও বিশ্বব্যাপী ৯৬ কোটি ডলারেরও বেশি ব্যবসা করে। এখন পর্যন্ত এই ধারাবাহিকের চলচ্চিত্রগুলো বিশ্বব্যাপী সব মিলিয়ে প্রায় ২৭০ কোটি মার্কিন ডলার ব্যবসা করেছে। জনি ডেপ ২০০৮ সালের সেপ্টেম্বরে এই ধারাবাহিকে চতুর্থ চলচ্চিত্র \"\"-এ অভিনয়ের জন্য চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন। ২০১১ সালের ২০ মে এটি মুক্তি পেয়েছে।"
] | [
"পাইরেটস অব দ্য ক্যারিবিয়ান: দ্য কার্স অব দ্য ব্ল্যাক পার্ল\nপাইরেটস অফ দ্য ক্যারিবিয়ান: দ্য কার্স অফ দ্য ব্ল্যাক পার্ল () হচ্ছে ২০০৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি অ্যাডভেঞ্চার চলচ্চিত্র। ওয়াল্ট ডিজনি থিম পার্কের \"পাইরেটস অফ দ্য ক্যারিবিয়ান\" রাইডের ওপর ভিত্তি করে চলচ্চিত্রটি নির্মিত হয়। চলচ্চিত্রের গল্পে দেখা যায় তরুণ কামার উইল টার্নার (অরল্যান্ডো ব্লুম) ও জলদস্যু ক্যাপ্টেন জ্যাক স্প্যারো (জনি ডেপ) একত্রে অপহরণকৃত এলিজাবেথ সোয়ানকে (কিরা নাইটলি) \"ব্ল্যাক পার্ল\"-এর অভিশপ্ত নাবিকদের কাছ থেকে উদ্ধারের জন্য এক অভিযানে রওনা হয়েছে। এই অভিশপ্ত নাবিকদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন হেক্টর বারবোসা (জিওফ্রে রাশ)। চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেছেন গোর ভারবিনস্কি ও প্রযোজনা করেছেন জেরি ব্রুখাইমার। এটি এমপিএএ কর্তৃক ওয়াল্ট ডিজনি পিকচার্সের পিজি-১৩ রেটিং পাওয়া প্রথম চলচ্চিত্র। এর আগের সর্বোচ্চ রেটিং ছিলো জি বা পিজি।",
"পাইরেট্স অব দ্য ক্যারিবিয়ান: অ্যাট ওয়ার্ল্ডস এন্ড\nপাইরেটস অফ দ্য ক্যারিবিয়ান: অ্যাট ওয়ার্ল্ডস এন্ড () হচ্ছে ২০০৭ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি অ্যাডভেঞ্চার চলচ্চিত্র, এবং \"পাইরেটস অফ দ্য ক্যারিবিয়ান\" চলচ্চিত্র ধারাবাহিকের তৃতীয় চলচ্চিত্র। এখানে দেখা যায়, উইল টার্নার, এলিজাবেথ সোয়ান, এবং \"ব্ল্যাক পার্ল\"-এর নাবিকরা ডেভি জোন্স’স লকার থেকে ক্যাপ্টেন জ্যাক স্প্যারোকে রক্ষা করছে, এবং তারপর তাঁরা লর্ড কাটলার বেকেট ও ডেভি জোন্সের (বিলি নাই) নেতৃত্বাধীন ইস্ট ইন্ডিয়া ট্রেডিং কোম্পানির সাথে যুদ্ধে উপনীত হয়। পূর্বের দুইটি চলচ্চিত্রের মতোই গোর ভারবিনস্কি এই চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেন। ২০০৫ ও ২০০৬ সালে দুই বারে এই চলচ্চিত্রটির কাজ হয়। পূর্বের \"\" চলচ্চিত্রটির সাথে একই সাথে এটির কাজ চলছিলো।",
"পাইরেটস অব দ্য ক্যারিবিয়ান (ধারাবাহিক চলচ্চিত্র)\nচলচ্চিত্রটির কাহিনী নেওয়া হচ্ছে টিম পাওয়ারের উপন্যাস \"অন স্ট্রেঞ্জার টাইডস\" থেকে। এই পর্বে ফাউন্টেইন অফ ইয়ুথের সন্ধানে ক্যাপ্টেন জ্যাক স্প্যারো (জনি ডেপ) অ্যাঞ্জেলিকা’র (পেনেলোপে ক্রুজ) সাথে যোগ দেন। তাঁদের সাথে ফাউন্টেইন অফ ইয়ুথের সন্ধানের আরও যোগ দেয় জলদস্যু ব্ল্যাকবিয়ার্ড (ইয়ান ম্যাকশেন), এবং তাঁদের পিছু নেয় ক্যাপ্টেন বারবোসা (জিওফ্রে রাশ)। চলচ্চিত্রটি পরিবেশিত হয় ওয়াল্ট ডিজনি পিকচার্সের সৌজন্য। ১৮ ও ২০ মে ২০১১-এর চলচ্চিত্রটি যথাক্রমে যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রে, ও বিশ্বব্যাপী মুক্তি লাভ করে। ডিজনি ডিজিটাল থ্রি-ডি ও আইম্যাক্স থ্রিডি ফরম্যাটের পাশাপাশি প্রচলিত দ্বিমাত্রিক আইম্যাক্স ফরম্যাটেও চলচ্চিত্রটি মুক্তি পায়।",
"পাইরেটস অব দ্য ক্যারিবিয়ান: ডেড ম্যান’স চেস্ট\nপাইরেটস অফ দ্য ক্যারিবিয়ান: ডেড ম্যান’স চেস্ট () হচ্ছে ২০০৬ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি মার্কিন অ্যাডভেঞ্চার চলচ্চিত্র। এটি \"পাইরেটস অফ দ্য ক্যারিবিয়ান\" চলচ্চিত্র ধারাবাহিকের দ্বিতীয় চলচ্চিত্র। এর পূর্বের চলচ্চিত্রটি হচ্ছে \"\", ও পরবর্তী চলচ্চিত্রটি হচ্ছে \"\"। চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেছেন গোর ভারবিনস্কি। এটির চিত্রনাট্য লিখেছেন টেড এলিয়ট ও টেড রোজিও, এবং প্রযোজনা করেছেন জেরি ব্রুখাইমার। চলচ্চিত্রটি চারটি একাডেমি পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন লাভ করেছে। এগুলো হচ্ছে সেরা চিত্র নির্দেশনা, শব্দ সম্পাদনা, শব্দ মিশ্রণ, সেরা ভিজুয়াল ইফেক্ট। এর মধ্যে সেরা ভিজুয়াল ইফেক্ট বিভাগে এটি একাডেমি পুরস্কার জয় করে নেয়।\nএটির কাহিনী শুরু হয় এর আগের পর্বে যেখানে শেষ হয়েছিলো তার পর থেকে। ক্যাপ্টেন জ্যাক স্প্যারো (জনি ডেপ) দেখতে পায় যে, খলনায়ক ডেভি জোন্সের (বিলি নাই) ঋণ এখনো পরিশোধ করা বাকি আছে। আর এদিকে লর্ড কাটলার বেকেট (টম হল্যান্ডার) জ্যাক স্প্যারোর ফাঁসির মঞ্চ থেকে পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দেওয়ার অপরাধে উইল টার্নার (অরল্যান্ডো ব্লুম) ও এলিজাবেথ সোয়ানকে (কিরা নাইটলি) গ্রেফতার করে।",
"পাইরেটস অব দ্য ক্যারিবিয়ান: অন স্ট্রেঞ্জার টাইডস\nচলচ্চিত্রটির কাহিনী নেওয়া হচ্ছে টিম পাওয়ারের উপন্যাস \"অন স্ট্রেঞ্জার টাইডস\" থেকে। এই পর্বে ফাউন্টেইন অব ইয়ুথের সন্ধানে ক্যাপ্টেন জ্যাক স্প্যারো (জনি ডেপ) অ্যাঞ্জেলিকা’র (পেনেলোপে ক্রুজ) সাথে যোগ দেন। তাঁদের সাথে ফাউন্টেইন অব ইয়ুথের সন্ধানের আরও যোগ দেয় জলদস্যু ব্ল্যাকবিয়ার্ড (ইয়ান ম্যাকশেন), এবং তাঁদের পিছু নেয় ক্যাপ্টেন বারবোসা (জিওফ্রে রাশ)। চলচ্চিত্রটি পরিবেশিত হয় ওয়াল্ট ডিজনি পিকচার্সের সৌজন্য। ১৮ ও ২০ মে ২০১১-এর চলচ্চিত্রটি যথাক্রমে যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রে, ও বিশ্বব্যাপী মুক্তি লাভ করে। ডিজনি ডিজিটাল থ্রি-ডি ও আইম্যাক্স থ্রিডি ফরম্যাটের পাশাপাশি প্রচলিত দ্বিমাত্রিক আইম্যাক্স ফরম্যাটেও চলচ্চিত্রটি মুক্তি পায়।",
"পাইরেটস অব দ্য ক্যারিবিয়ান (ধারাবাহিক চলচ্চিত্র)\nলর্ড কার্টলার বেকেট, ডেভি জোন্সের ওপর ক্ষমতা অধিকার করে, এবং জোন্সের জাহাজ \"দ্য ফ্লাইং ডাচম্যান\"-এর সাহায্যে দস্যুতা চিরতরে দূর করতে উন্মুখ হয়। ইস্ট ইন্ডিয়া ট্রেডিং কোম্পানির সাথে যুদ্ধ করার জন্য জ্যাক স্প্যারোকে প্রয়োজন হয়, তাই বারবোসা, টার্নার, এলিজাবেথ ও ব্ল্যাক পার্লের নাবিকরা ডেভি জোন্স লকার থেকে স্প্যারোকে উদ্ধার করতে যাত্রা করে। কারণ ক্যারিবীয় অঞ্চলের জলদস্যু অধিনায়ক হিসেবে সে ব্রেদার্ন কোর্টের নয় জলদস্যু অধিনায়কের (পাইরেট লর্ড) একজন।",
"পাইরেট্স অব দ্য ক্যারিবিয়ান: অ্যাট ওয়ার্ল্ডস এন্ড\nচলচ্চিত্রটির ডিভিডি, ও ব্লু-রে প্রচ্ছদ, সেই সাথে বাণিজ্যিক হোম ভিডিওতেও বলা হয়েছিলো \"পাইরেটস অফ দ্য ক্যারিবিয়ান\" ত্রয়ীর এটিই সর্বশেষ চলচ্চিত্র। কিন্তু পরবর্তীতে এই ধারাবাহিকের চতুর্থ চলচ্চিত্রের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। এর নাম \"পাইরেটস অফ দ্য ক্যারিবিয়ান: অন স্ট্রেঞ্জার টাইডস\", এবং এটি মুক্তি পায় ২০১১ সালের ২০ মে।",
"পাইরেটস অব দ্য ক্যারিবিয়ান: অন স্ট্রেঞ্জার টাইডস\nপাইরেটস অব দ্য ক্যারিবিয়ান: অন স্ট্রেঞ্জার টাইডস () হচ্ছে ২০১১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি অ্যাডভেঞ্চার ফ্যান্টাসি চলচ্চিত্র।। এটি \"পাইরেটস অব দ্য ক্যারিবিয়ান\" ধারাবাহিকের চতুর্থ চলচ্চিত্র। পূর্বের তিনটি চলচ্চিত্রের পরিচালক গোর ভারবিনস্কির পরিবর্তে এই চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেন রব মার্শাল, অপরদিকে প্রযোজক হিসেবে জেরি ব্রুখাইমার অপরিবর্তিত থাকেন।",
"জ্যাক স্প্যারো\nচলচ্চিত্রের বাইরে জ্যাক স্প্যারোকে প্রথম দেখা যায় ভিডিও গেম \"কিংডম হার্টস টু\"-তে একটি সহযোগী চরিত্র হিসেবে। ভিডিও গেমটির ইংরেজি সংস্করণে জ্যাক স্প্যারোর কণ্ঠ দিয়েছিলেন জেমস আর্নল্ড টেইলর এবং জাপানী সংস্করণে হিরোআকি হিরাতা। এছাড়া জ্যাক স্প্যারোকে নিয়ে নির্মিত কয়েকটি ভিডিও গেমের মধ্যে আছে, \"পাইরেটস অফ দ্য ক্যারিবিয়ান: দ্য লিজেন্ড অফ জ্যাক স্প্যারো\"। এখানে জ্যাক স্প্যারো হিসেবে কণ্ঠ দিয়েছেন জনি ডেপ। আরো আছে চলচ্চিত্রভিত্তিক ভিডিও গেম \"পাইরেটস অফ দ্য ক্যারিবিয়ান: ডেড ম্যান’স চেস্ট\", এবং \"পাইরেটস অফ দ্য ক্যারিবিয়ান: অ্যাট ওয়ার্ল্ড’স এন্ড\"-এর বিভিন্ন সংস্করণ। এ সমস্ত গেমে জ্যাক স্প্যারোর কণ্ঠ দিয়েছেন জেরাল্ড বাটলার, এবং মোশন ক্যাপচারের প্রাযুক্তিক সহায়তা দিয়েছেন জনি প্যাটন। চলচ্চিত্র মুক্তি পাবার আগে নির্মিত \"পাইরেটস অফ দ্য ক্যারিবিয়ান অনলাইন\"-এও জেরাড বাটলার কণ্ঠ দিয়েছেন।"
] | 34 |
রামায়ণ অনুসারে মন্দোদরীর মায়ের নাম কী ? | [
"মন্দোদরী\nমন্দোদরী ছিলেন অসুররাজ ময়াসুর ও অপ্সরা হেমার কন্যা। মন্দোদরীর তিন পুত্র ছিল: মেঘনাদ (ইন্দ্রজিৎ), অতিকায় ও অক্ষয়কুমার। রামায়ণের কোনো কোনো সংস্করণ অনুযায়ী, মন্দোদরী রামের পত্নী সীতারও গর্ভধারিণী মা। উল্লেখ্য, সীতাকেই তাঁর স্বামী রাবণ অন্যায়ভাবে চুরি করে এনেছিলেন। স্বামীর দোষ সত্ত্বেও মন্দোদরী তাঁকে ভালবাসতেন এবং তাঁকে সত্যপথে চলার উপদেশ দিতেন। মন্দোদরী বারবার সীতাকে রামের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য রাবণকে পরামর্শ দিয়েছিলেন। কিন্তু রাবণ তাঁর কথায় কর্ণপাত করেননি। রামায়ণে রাবণের প্রতি মন্দোদরীর ভালবাসা ও আনুগত্যের প্রশংসা করা হয়েছে।",
"পঞ্চকন্যা\nলঙ্কার রাক্ষস (দৈত্য) রাজা রাবণের রাজমহিষী ছিলেন মন্দোদরী। হিন্দু মহাকাব্যে তাঁকে পরমা সুন্দরী, ধার্মিক ও ভগবভক্তরূপে চিত্রিত করা হয়েছে। অসুরাজের (দৈত্য) রাজা মায়াসুর ও অপ্সরা (স্বর্গীয় জলপরী) হেমার কন্যা তিনি। কিছু কাহিনীতে অপ্সরা মধুরার ব্যাঙ হয়ে যাবার বিষয়ে বর্ণিত হয়েছে ও ১২ বছর নির্বাসিত থাকার কথা তুলে ধরা হয়। পরবর্তীতে তিনি তাঁর সৌন্দর্য ফিরে পান বা ব্যাঙ থেকে সুন্দরী কুমারীতে পরিণত হন। উভয়ক্ষেত্রেই মায়াসুরের কন্যারূপে মন্দোদরী দত্তক কন্যা ছিলেন। একদা রাবণ মায়াসুরের গৃহে পদার্পণ ঘটান ও মন্দোদরীর প্রেমে পড়েন। এরপর তাঁরা বৈবাহিকসম্পর্ক স্থাপন করলে মেঘনাদ (ইন্দ্রজিৎ), অতিকায় ও অক্ষয়কুমার নামের তিন পুত্রসন্তানের জন্ম হয়। কিছু গৃহীত রামায়ণে মন্দোদরীকে রাবণ কর্তৃক ঘৃণ্য অপহরণে রামের পত্নী সীতারও মাতারূপে বর্ণনা করা হয়েছে। স্বামীর দোষ-ত্রুটি থাকা সত্ত্বেও মন্দোদরী তাঁকে ভালোবাসেন ও ধার্মিকতার পথ অনুসরণে পরামর্শ দিতে থাকেন। মন্দোদরী বারংবার সীতাকে রামের কাছে ফেরত দেয়ার বিষয়ে পরামর্শ দেন। কিন্তু তাঁর এ পরামর্শ বধির কানে অগ্রাহ্য হতে থাকে। রাবণের প্রতি তাঁর গভীর ভালোবাসা ও আনুগত্যবোধ রামায়ণে উচ্ছসিতভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। রামায়ণের পৃথক সংস্করণগুলোয় রামের বানর সেনাপতিদের হাতে তাঁর নিগ্রহতার বিষয় চিত্রিত হয়েছে। কিছু সংস্করণে তাঁদের হাতে অপদস্থ হতে হয়েছেন তিনি, রাবণের যজ্ঞ পণ্ড করে দেয়াসহ অন্যগুলোয় রাবণের জীবন রক্ষাকবচস্বরূপ তাঁদের হাতে সতীত্ব নাশের বিষয় এসেছে। হনুমান কৌশলে তাঁর কাছ থেকে ঐন্দ্রজালিক তীরের অবস্থান অবগত হয়ে রাবণকে বধের উদ্দেশ্যে রামের হাতে তুলে দেয়। রাবণের মৃত্যুর পর লঙ্কারাজ্যের বিশ্বাসঘাতক ও রাবণের ছোটভাই রামভক্ত ধর্মপ্রাণ বিভীষণ মন্দোদরীকে রামের পরামর্শক্রমে বিয়ে করেন। কিছু সংস্করণে মন্দোদরী অভিশপ্ত করেন যে সীতাকে রাম পরিত্যাগ করবেন বলে উল্লেখ করা হয়।",
"মন্দোদরী\n\"উত্তর রামায়ণ\" গ্রন্থে মন্দোদরীর জন্মবৃত্তান্ত বর্ণিত হয়েছে: ঋষি কশ্যপের পুত্র ময়াসুর হেমা নামে এক অপ্সরাকে বিবাহ করেন। তাঁদের দুই পুত্র হয় - মায়াবী ও দুন্দুভি। কিন্তু তাঁরা অনেক দিন ধরে একটি কন্যাসন্তান প্রাপ্তির ইচ্ছা পোষণ করছিলেন। তাই তাঁরা শিবের তপস্যা শুরু করেন।"
] | [
"মন্দোদরী\nহিন্দু মহাকাব্য \"রামায়ণ\" অনুসারে, মন্দোদরী ( , আক্ষরিক অর্থে \"কোমল উদর বিশিষ্টা\";) ছিলেন লঙ্কার রাক্ষস রাজা রাবণের রাজমহিষী। \"রামায়ণ\"-এ তাঁকে সুন্দরী, ধর্মপ্রাণা ও নীতিপরায়ণা বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তিনি পৌরাণিক \"পঞ্চকন্যা\"-র (পঞ্চসতী, যাঁদের নাম উচ্চারণ করলে পাপ দূর হয় বলে হিন্দুদের বিশ্বাস) অন্যতম।",
"মন্দোদরী\n\"বাল্মীকি রামায়ণ\"-এর বর্ণনা অনুযায়ী: সকল পুত্র ও যোদ্ধা নিহত হলে রাবণ বিজয় সুনিশ্চিত করতে এক যজ্ঞের আয়োজন করেন। রাম হনুমান ও বানর-যুবরাজ অঙ্গদের নেতৃত্বে এক বানর সৈন্যদল যজ্ঞ পণ্ড করার জন্য প্রেরণ করেন। অঙ্গদ মন্দোদরীকে রাবণের সামনে টেনে নিয়ে আসেন। মন্দোদরী রাবণের কাছে সাহায্য প্রার্থনা করতে থাকেন। তিনি রাবণকে মনে করিয়ে দেন যে, রাম যা করছেন তা তাঁর স্ত্রীর জন্যই করছেন। ক্রুদ্ধ হয়ে রাবণ যজ্ঞাসন থেকে উঠে আসেন এবং অঙ্গদকে তরবারি দিয়ে আঘাত করতে যান। যজ্ঞ পণ্ড হয়। অঙ্গদের উদ্দেশ্য সিদ্ধ হওয়ায় তিনি মন্দোদরীকে ছেড়ে দিয়ে পালিয়ে যান। মন্দোদরী পুনরায় সীতাকে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য রাবণের কাছে আবেদন করেন। কিন্তু রাবণ তাতে কর্ণপাত করেননি। রামায়ণের অন্যান্য সংস্করণে আরও ভয়াবহ ঘটনার বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। \"কৃত্তিবাসী রামায়ণ\"-এ বলা হয়েছে, বানরেরা মন্দোদরীকে টেনে এনে তাঁর পোশাক ছিঁড়ে দিয়েছিলেন। \"বিচিত্র রামায়ণ\"-এর বর্ণনা অনুযায়ী, হনুমান মন্দোদরীর হেনস্থা করেছিলেন। থাই রামায়ণ \"রামাকিয়েন\"-এ মন্দোদরীর প্রতীকী ধর্ষণের উল্লেখ আছে। এখানে বলা হয়েছে, হনুমান রাবণের রূপ ধরে এসে মন্দোদরীকে সম্ভোগ করেন। এর ফলে মন্দোদরীর সতীত্ব নষ্ট হয় এবং যেহেতু মন্দোদরীর সতীত্বই রাবণের জীবন রক্ষা করছিল, সেহেতু এই ঘটনা রাবণের মৃত্যুর কারণ হয়।\nশেষ যুদ্ধে রাম রাবণের সঙ্গে যুদ্ধ করেন। সাধারণ বাণে রাম রাবণকে বধ করতে সক্ষম হননি। তাঁকে একটি বিশেষ মৃত্যুবাণের সাহায্য নিতে হয়েছিল। বাল্মীকি রামায়ণ অনুসারে, ইন্দ্র রামকে এই বাণটি দিয়েছিলেন। কিন্তু রামায়ণের অন্যান্য সংস্করণে বলা হয়েছে, বাণটি মন্দোদরীর শয়নকক্ষে তাঁর শয্যার নিচে লুকানো ছিল। মন্দোদরী যখন রাবণের মঙ্গলকামনায় পার্বতীর পূজা করছিলেন, সেই সময় হনুমান ব্রাহ্মণের ছদ্মবেশে মন্দোদরীর কাছে আসেন। তিনি মন্দোদরীর বিশ্বাস অর্জন করে সুকৌশলে রাবণের মৃত্যুবাণ কোথায় আছে, তা জেনে নেন। পরে হনুমান বাণটি চুরি করে রামকে দেন। রাম সেই বাণ দিয়ে রাবণ বধ করেন। তারপর বিধ্বস্ত অবস্থায় রাবণের মৃতদেহের কাছে এসে শোক প্রকাশ করতে থাকেন মন্দোদরী। উক্ত যুদ্ধে মন্দোদরী তাঁর স্বামী, পুত্র ও সকল নিকটাত্মীয়কে হারিয়েছিলেন।",
"মন্দোদরী\n\"দেবীভাগবত পুরাণ\"-এ বলা হয়েছে: রাবণ যখন মন্দোদরীকে বিবাহ করতে চান, তখন ময়াসুর রাবণকে সাবধান করে বলেন যে, মন্দোদরীর কোষ্ঠীতে আছে, তাঁর প্রথম সন্তান তাঁর বংশের ধ্বংসের কারণ হবে। তাই এই সন্তানটিকে জন্মমাত্রই হত্যা করতে হবে। ময়াসুরের উপদেশ অগ্রাহ্য করে রাবণ মন্দোদরীর প্রথম সন্তানকে একটি ঝুড়িতে করে জনকের নগরীতে রেখে আসেন। জনক তাঁকে দেখতে পান এবং সীতারূপে পালন করেন। \"বাসুদেবহিন্দি\", \"উত্তর পুরাণ\" ইত্যাদি জৈন রামায়ণেও সীতাকে রাবণ ও মন্দোদরীর কন্যা বলা হয়েছে। এই সব গ্রন্থেও আছে যে, সীতা রাবণ ও তাঁর বংশের ধ্বংসের কারণ হবেন বলে ভবিষ্যৎবাণী করা হয়েছিল বলে, রাবণ তাঁকে পরিত্যাগ করেন।",
"দ্রৌপদী\nদ্রৌপদী (দেবনাগরী:द्रौपदी) হলেন মহাভারত মহাকাব্যের কেন্দ্রীয় নারী চরিত্র । ইনি পঞ্চপাণ্ডবের যুধিষ্ঠিরের সহধর্মিনী । সে মহাভারতের বীরাঙ্গনাদ্রৌপদী পাঞ্চালরাজ দ্রুপদের কন্যা । দ্রুপদের কন্যা বলে তাঁর নাম দ্রৌপদী । কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধ শেষে যুধিষ্ঠির যখন হস্তিনাপুরের রাজা হন তখন তিনি পুনরায় ইন্দ্রপ্রস্থের রাণী হন । তিনি বিভিন্ন নামে পরিচিতা । পাঞ্চালের রাজকুমারী বলে তিনি পাঞ্চালী, যজ্ঞ থেকে তিনি উৎপন্ন হয়েছিলেন বলে যাজ্ঞসেনী, ভরতবংশের কুলবধু বলে তিনি মহাভারতী এবং তিনি সৈরিন্ধ্রী নামেও পরিচিতা কারণ অজ্ঞাতবাস কালে তিনি মৎস্যরাজ বিরাটের স্ত্রী সুদেষ্ণার কেশসংস্কারকারিনী ছিলেন । মহাভারতে দ্রৌপদীকে অনিন্দ্য সুন্দরী ও তাঁর সময়ের শ্রেষ্ঠ নারী হিসেবে চিত্রিত করা হয়েছে । দ্রৌপদী তাঁর শ্বশ্রূ কুন্তীর মত পঞ্চকন্যার অন্যতমা । দ্রৌপদী তাঁর শ্বশ্রূ কুন্তীকে খুব ভালবাসতেন । কুন্তী ও পুত্রবধুকে ভালবাসতেন।",
"মন্দোদরী\nবাল্মীকি রামায়ণে মন্দোদরীকে সুন্দরী নারীর রূপে চিত্রিত করা হয়েছে। রামের বানর বার্তাবাহক হনুমান সীতার সন্ধানে লঙ্কায় এলে, তিনি মন্দোদরীর সৌন্দর্যে বিস্মিত হয়ে প্রথমে তাঁকেই সীতা বলে ভুল করেন। শেষে যখন হনুমান সীতাকে খুঁজে পান তখন রাবণ সীতাকে ভয় দেখাচ্ছিলেন। রাবণ ভয় দেখিয়ে সীতাকে বিবাহে রাজি করাতে চাইছিলেন। কিন্তু সীতা তা করতে অস্বীকার করলে, তিনি তরবারি নিষ্কাষিত করে সীতার মুণ্ডচ্ছেদ করতে যান। মন্দোদরী সেই সময় রাবণকে বাধা দিয়ে সীতার প্রাণরক্ষা করেন। মন্দোদরী বলেন যে, নারীহত্যা মহাপাপ। তাই সীতাকে হত্যা করা রাবণের শোভা পায় না। মন্দোদরী উপদেশ দেন, রাবণ যেন সীতাকে বিবাহের ইচ্ছা ত্যাগ করে তাঁর অন্যান্য মহিষীদের সম্ভোগ করেন। মন্দোদরী সীতাকে তাঁর অপেক্ষা কম সুন্দরী ও নিচকূলজাত মনে করলেও, রামের প্রতি সীতার ভক্তি সম্পর্কে তিনি অবহিত ছিলেন এবং সীতাকে দেবী শচী ও রোহিণীর সঙ্গে তুলনা করেন।",
"মন্দোদরী\nঅহল্যা, দ্রৌপদী, কুন্তী, তারা ও মন্দোদরী - এই পঞ্চকন্যাকে নিত্য স্মরণ করলে মহাপাপগুলি দূরীভূত হয়।\nরক্ষণশীল হিন্দুরা দৈনিক পূজার সময় \"পঞ্চকন্যা\"কে স্মরণ করেন। যদিও তাঁদের কেউই সাধারণ দৃষ্টিতে আদর্শ নারী ছিলেন না। মন্দোদরী, অহল্যা ও তারা রামায়ণের চরিত্র। অন্যদিকে দ্রৌপদী ও কুন্তী \"মহাভারত\"-এর চরিত্র। পঞ্চভূতের মধ্যে মন্দোদরী জলের প্রতীক। তাঁর \"উপরিভাগ অশান্ত ও অন্তঃস্থল ছিল আধ্যাত্মিক গভীরতায় পূর্ণ\"। লেখক ধনলক্ষ্মী আয়ার বলেছেন:\nতাঁর কাহিনি আমাদের মনে করিয়ে দেয়, কয়েকজনের আচরণের ভিত্তিতে কোনো গোষ্ঠীর বিশ্বজনীন খলতা মহৎকে মেঘাচ্ছন্ন করতে পারে না। মন্দোদরী এই জাতীয় ব্যক্তির উদাহরণ। তিনি ছিলেন সাদাসিধা। আনুগত্যের প্রশ্নে তাঁর দৃঢ়তা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। কামনাবাসনায় আচ্ছন্ন এক যুগে জ্ঞানের আলোক তাঁকে শক্ত বাস্তবতাবোধ প্রদান করেছিল। যখন অযৌক্তিতা মুখ্য হয়ে ওঠে, তখন তিনি মনের মধ্যে যুক্তি-জাগরণের যন্ত্র হয়ে ওঠেন। তাঁর মতামত বারবার প্রত্যাখ্যাত হলেও তিনি তাঁর পন্থা ত্যাগ করেননি। তাঁর কাছে ধর্মের পথ ছিল অন্তর্মুখী পথ। বাইরে তিনি ছিলেন এক কর্তব্যপরায়ণ স্ত্রী। মন্দোদরী ভাবতেন যে, স্বামীর কাজ সম্পর্কে মতামত প্রকাশ করেই নৈতিকতার ক্ষেত্রে স্বামীর প্রতি তাঁর কর্তব্য সারা হয়ে যায়। তিনি স্বামীকে জোর করে বাধা দেননি। জোর করে বাধা দেওয়াকে তিনি কর্তব্যও মনে করেননি।\nরামায়ণে মন্দোদরীর ভূমিকা সংক্ষিপ্ত। তাঁকে এক ধর্মপ্রাণা ও নীতিপরায়ণা রাজমহিষীরূপে বর্ণনা করা হয়েছে। প্রভাতী মুখোপাধ্যায়ের মতে, পঞ্চকন্যার অন্যান্যদের তুলনায় মন্দোদরীর জীবন \"কম বর্ণময় ও কম ঘটনাবহুল\"। তিনি আরও বলেছেন, \"মন্দোদরী বিশেষ গুরুত্ব পাননি। তাঁর ছবিটিতে বস্তুগত অভাব বোধ হয় এবং তা শীঘ্রই ক্ষীণ হয়ে আসে।\" যদিও, স্বামীর প্রতি তাঁর ভালবাসা ও আনুগত্য বিশেষ গুরুত্বের দাবি রেখেছে। \"পঞ্চকন্যা: উইমেন অফ সাবস্ট্যান্স\" গ্রন্থের রচয়িতা প্রদীপ ভট্টাচার্য বলেছেন, \"বাল্মীকি তাঁর (মন্দোদরী) সম্পর্কে বিশেষ কিছু লেখেননি। শুধু এটুকুই উল্লেখ করার মতো যে তিনি সীতাকে ফিরিয়ে দিতে বলেছিলেন এবং সীতাকে ধর্ষণ করার থেকে রাবণকে নিরস্ত করেছিলেন।\"",
"মন্দোদরী\nবাল্মীকি রামায়ণে মন্দোদরীকে সীতার মা বলে উল্লেখ করা না হলেও, পরবর্তীকালে রচিত রামায়ণের কয়েকটি সংস্করণে মন্দোদরীকে সীতার মা, অথবা অন্তত তাঁর জন্মের কারণ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।"
] | 81 |
হিন্দুধর্মের প্রাচীনতম শাখা কোনটি ? | [
"হিন্দুধর্ম\nসংজ্ঞা বা ‘হিন্দুইজম’ বা হিন্দুধর্ম শব্দটির দ্বারা কি বোঝায় তা এই কারণেই বলা সম্ভব নয় যে এই ধর্মের কোনো একক প্রতিষ্ঠাতা নেই। হিন্দুধর্মে, বা কারো কারো ভাষ্য অনুযায়ী হিন্দুধর্মসমূহে মোক্ষলাভের প্রণালীটি এক এক সম্প্রদায়ের নিকট এক এক প্রকার। বৈদিক ধর্মের যে রূপগুলি পরিলক্ষিত হয়, তা হিন্দুধর্মের বিকল্প নয় - বরং তার প্রাচীনতম রূপ। তাই পশ্চিমা প্রাচ্যবিদদের লেখায় বৈদিক ধর্ম, ব্রাহ্মণ্যবাদ ও হিন্দুধর্মের মধ্যে যে প্রভেদ দেখানো হয়ে থাকে তারও বিশেষ যুক্তি নেই। কেউ কেউ মনে করেন, হিন্দুধর্মে কোনো “অনুশাসনের আকারে নিবদ্ধ কোনো একক ধর্মীয় বিশ্বাস” প্রচলিত নেই। এই জন্য ইসলামের বিরাট সংগঠনের পাশে এটিকে এক সম্পূর্ণ ভিন্ন ধরনের ধর্মব্যবস্থা বলে অভিহিত করা হয়। আবার কেউ কেউ ইহুদি ধর্মের সঙ্গে এর ঘনিষ্ঠ একাত্মতার কথাও বলে থাকেন।"
] | [
"হিন্দুধর্ম\nহিন্দুধর্ম (সনাতনধর্ম) ভারতীয় উপমহাদেশের আধ্যাত্মিক মতবাদ । হিন্দু ধর্মাবলম্বীগণ স্বীয় ধর্মমতকে সনাতন ধর্ম () নামেও অভিহিত করেন। হিন্দুধর্মের সাধারণ \"ধরনগুলির\" মধ্যে লৌকিক ও বৈদিক হিন্দুধর্ম থেকে বৈষ্ণবধর্মের অনুরূপ ভক্তিবাদী ধারার মতো একাধিক জটিল মতবাদগুলির সমন্বয়ের এক প্রচেষ্টা লক্ষিত হয়। যোগ, কর্মযোগ ধারণা, ও হিন্দু বিবাহের মতো বিষয়গুলিও হিন্দুধর্মের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত।\"",
"হিন্দুধর্ম\nসার্বিক সহিষ্ণুতা থেকে মতবৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য ও হিন্দুধর্মের রক্ষণশীল উদারতা ধ্রুপদী পাশ্চাত্য চিন্তাধারায় এই ধর্মের সংজ্ঞা নিরুপণের প্রধান বাধাস্বরূপ। হিন্দুধর্ম মূলত একটি ব্যবহারিক ধর্মচেতনা। একাধিক প্রথা, সংস্কার ও আদর্শ এতে সন্নিবেশিত। তাই অনেকের মতে এই ধর্মের একটি সংজ্ঞা নির্ধারণ করা বেশ অসুবিধাজনক। সেই কারণে ‘রিলিজিয়ন’ বা ধর্ম অপেক্ষা ‘রিলিজিয়াস ট্র্যাডিশন’ বা ধর্মসংস্কার হিসেবেই একে অধিকাংশ ক্ষেত্রে সংজ্ঞায়িত করা হয়। এই বৈশিষ্ট্য হিন্দুধর্মকে বিশ্বের প্রাচীনতম ধর্মবিশ্বাসের পাশাপাশি বিশ্বের সর্বাধিক বৈচিত্র্যপূর্ণ ধর্মের শিরোপাও দান করেছে। অধিকাংশ ধর্মীয় সংস্কার পবিত্র ধর্মশাস্ত্র বেদ হতে সঞ্জাত। যদিও এর ব্যতিক্রমও দুর্লভ নয়। কোনো কোনো সংস্কার অনুসারে মোক্ষ বা পারত্রিক মুক্তিলাভের জন্য কিছু প্রথানুষ্ঠান অপরিহার্য। যদিও এই ব্যাপারেও মতানৈক্য বিদ্যমান। কোনো কোনো হিন্দু দার্শনিক মহাবিশ্বের সৃষ্টি, স্থিতি ও প্রলয়ের পশ্চাতে এক অস্তিবাদী পরাসত্তার সন্ধান করে ফেরেন, আবার কোনো কোনো হিন্দু নাস্তিকতার চর্চা করে থাকেন। হিন্দুধর্ম কর্মফলের ভিত্তিতে পুনর্জন্মবাদে বিশ্বাস রাখে। মোক্ষ এই ধর্মে জন্ম ও মৃত্যুর চক্রাকার বৃত্ত থেকে মুক্তিরই অপর নাম। যদিও হিন্দুধর্মের ক্ষেত্রের বাইরে বৌদ্ধ ও জৈনধর্মও এই মতবাদে বিশ্বাস রাখে। এই কারণে হিন্দুধর্মকে মনে করা হয় বিশ্বের জটিলতম ধর্মবিশ্বাসগুলির অন্যতম। এই জটিলতা ব্যতিরেকেও হিন্দুধর্ম যে শুধুমাত্র একটি সংখ্যাগতভাবে সুবৃহৎ জনগোষ্ঠীর ধর্মচেতনা তাই নয়, প্রাগৈতিহাসিক যুগ থেকে প্রচলিত এই ধর্মবিশ্বাস পৃথিবীর অধুনা বর্তমান ধর্মগুলির মধ্যে প্রাচীনতমও বটে।\nভারতের প্রথম উপরাষ্ট্রপতি তথা বিশিষ্ট দার্শনিক সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণন হিন্দুধর্মের সংজ্ঞা দিতে গিয়ে একে “একটি বিশ্বাসমাত্র” বলতে অস্বীকার করেন। বরং এই ধর্মের যুক্তি ও দর্শনের দিকটি বিচার করে তিনি খোলাখুলিভাবেই এই মত ব্যক্ত করেন যে হিন্দুধর্মের সংজ্ঞা দান করা অসম্ভব। শুধুমাত্র এই ধর্ম অনুশীলনই করা যায়। তেমনই কোনো কোনো পণ্ডিত সুসংজ্ঞায়িত ও রক্ষণশীল ধর্মীয় সংগঠন না বলে হিন্দুধর্মকে “অস্পষ্ট সীমানায়” বর্গায়িত করার পক্ষপাতী। কয়েকটি ধর্মমত হিন্দুধর্মে কেন্দ্রীয়। অন্যগুলি ঠিক কেন্দ্রীয় না হলেও এই পরিসীমার আওতার মধ্যেই পড়ে। এরই ভিত্তিতে ফেরো-লুজি হিন্দুধর্মের সংজ্ঞায়নে একটি “উদাহরণমূলক তাত্ত্বিক অন্বেষণ” (“প্রোটোটাইপ থিওরি অ্যাপ্রোচ”) চালিয়েছেন।",
"হিন্দুধর্মের ইতিহাস\nহিন্দুধর্মের আদিতম ধর্মগ্রন্থ চার বেদ – ঋক্, সাম, যজুঃ ও অথর্ব। এগুলির মধ্যে ঋগ্বেদ প্রাচীনতম। ১৫০০ থেকে ৮০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দের মধ্যবর্তী সময়ে এই গ্রন্থগুলি রচিত হয়। পল্লব ও গুপ্তযুগ পর্যন্ত এগুলি গুরুশিষ্য পরম্পরায় মৌখিক প্রথার মাধ্যমে প্রচলিত ছিল। এর পর থেকে মৌখিক প্রথার সঙ্গে সঙ্গে লিপিবদ্ধ করার প্রথাও চালু হয়।",
"হিন্দুধর্ম\nহিন্দুধর্মকে বলা হয় পৃথিবীর প্রাচীনতম ধর্ম। কারন এটি প্রাচীনযুগে আর্বিভূত হয়েছে। এবং ধর্মাবলম্বীরা একে সনাতন ধর্ম (\"চিরন্তন নিয়ম বা চিরন্তন পথ\") বলে আখ্যায়িত করেন। পশ্চিমা পন্ডিতরা হিন্দুধর্মকে বিভিন্ন ভারতীয় সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের সংমিশ্রণ এবং সংশ্লেষণ হিসেবে গন্য করেন যার মূলে একক কোন ব্যক্তির অবদান নেই এবং এর একাধিক উৎপত্তি উৎস রয়েছে। এটি সনাতনি বা চিরন্তন কর্তব্যের কথা যেমন সততা, অহিংসা, ধৈর্যশীলতা, সমবেদনা ও আত্মনিয়ন্ত্রনের পাশাপাশি আরো অনেক মানবিক উৎকর্ষ জনক উপায়ের কথা বলে। এবং বাহ্যিক আচার বিচারের থেকে পরম সত্যের জ্ঞানকে সর্বদাই মুখ্য স্থান দেয়।",
"হিন্দুধর্ম\nহিন্দুধর্ম একাধিক ধর্মীয় ঐতিহ্যের সমন্বয়ে গঠিত। এই ধর্মের কোনো একক প্রতিষ্ঠাতা নেই।\nলৌহযুগীয় ভারতের ঐতিহাসিক বৈদিক ধর্মে এই ধর্মের শিকড় নিবদ্ধ। হিন্দুধর্মকে বিশ্বের \"প্রাচীনতম জীবিত ধর্মবিশ্বাস\" বা \"প্রাচীনতম জীবিত প্রধান মতবাদ\" আখ্যা দেওয়া হয়।",
"হিন্দু ধর্মগ্রন্থ\nহিন্দু ধর্মগ্রন্থগুলির দুটি ঐতিহাসিক শ্রেণীবিন্যাস হল: ‘শ্রুতি’ (যা শোনা হয়েছে) ও স্মৃতি (যা মনে রাখা হয়েছে)। শ্রতিশাস্ত্রগুলি সর্বোচ্চ প্রামাণিক ধর্মগ্রন্থ। এগুলি সেই প্রাচীন ধর্মগ্রন্থ যেগুলিকে ‘অপৌরুষেয়’ (স্বয়ং ঈশ্বরের মুখনিঃসৃত) মনে করা হয়। এগুলিই হিন্দুধর্মের কেন্দ্রীয় ধর্মগ্রন্থ। সংহিতা, ব্রাহ্মণ, আরণ্যক ও মুখ্য উপনিষদ্ সহ সমগ্র বেদ শ্রুতিশাস্ত্রের অন্তর্গত। শ্রুতিশাস্ত্রের বধ্যে উপনিষদ্ এককভাবে হিন্দুধর্মে বিশেষ প্রভাবশালী। এই অংশকে হিন্দুধর্মের শ্রেষ্ঠ ধর্মগ্রন্থ মনে করা হয়। উপনিষদের কেন্দ্রীয় ভাবনাটি এখনও বিভিন্ন দার্শনিক শাখা ও ধর্মীয় প্রথার উপর বিশেষ প্রভাবশালী।",
"ঈশোপনিষদ্\nস্টিফেন ফিলিপস প্রমুখ হিন্দুধর্ম বিশারদগণ আধুন গবেষকদের মতভেদের কথা উল্লেখ করেছেন। তাঁর মতে, \"ঈশোপনিষদ্\" সম্ভবত প্রাচীনতম উপনিষদ্গুলির অন্যতম এবং খ্রিস্টপূর্ব ১ম সহস্রাব্দের প্রথম ভাগে রচিত হয়। তাঁর মতে, এই গ্রন্থটি \"বৃহদারণ্যকোপনিষদ্\" ও \"ছান্দোগ্যোপনিষদ্\" গ্রন্থদ্বয়ের পরে এবং \"তৈত্তিরীয়োপনিষদ্\", \"ঐতরেয়োপনিষদ্\", \"কৌষিতক্যুপনিষদ্\", \"কেনোপনিষদ্\", \"কঠোপনিষদ্\", \"মুণ্ডকোপনিষদ্\", \"প্রশ্নোপনিষদ্\", \"শ্বেতাশ্বেতরোপনিষদ্\" ও \"মৈত্রয়নীয়োপনিষদ্\" গ্রন্থের আগে তথা প্রাচীনতম বৌদ্ধ পালি ও জৈন ধর্মগ্রন্থগুলির আগে রচিত হয়।",
"বিভিন্ন ধর্ম\nহিন্দুধর্ম একাধিক ধর্মীয় ঐতিহ্যের সমন্বয়ে গঠিত। এই ধর্মের কোনো একক প্রতিষ্ঠাতা নেই।\nলৌহযুগীয় ভারতের ঐতিহাসিক বৈদিক ধর্মে এই ধর্মের শিকড় নিবদ্ধ। হিন্দুধর্মকে বিশ্বের \"প্রাচীনতম জীবিত ধর্মবিশ্বাস\" বা \"প্রাচীনতম জীবিত প্রধান মতবাদ\" আখ্যা দেওয়া হয়।",
"হিন্দুধর্ম\n২০০৭ সালে অধিকতর জটিল ও সূক্ষ্ম বিবেচনার নিরিখে একাধিক মতের বিভিন্নতা ও বৈচিত্র্যের দিকটি বিচার করে\nম্যাকড্যানিয়েল হিন্দুধর্মের আরো ছয়টি শাখাকে চিহ্নিত করেছেন। এই বিভাগগুলি হল :হিন্দুধর্ম বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন ধর্ম তবে হিন্দু নামটি আধুনিকালের দেওয়া। এর প্রাচীন নাম হল সনাতন ধর্ম। আবার এই ধর্ম বৈদিক ধর্ম নামেও পরিচিত। এই ধর্ম বেদ এর উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছিল। এ ধর্মত্ত্বের মূল কথা হল ঈশ্বরের অস্তিত্বেই সকল কিছুর অস্তিত্ব এবং সকল কিছুর মূলেই স্বয়ং ঈশ্বর। খ্রীস্টপূর্ব ৫৫০০-২৬০০ অব্দের দিকে যখন কিনা হাপ্পান যুগ ছিল ঠিক সেই সময়ই এ ধর্মের গোড়ার দিক। অনেকের মতে খ্রীস্টপূর্ব ১৫০০-৫০০ অব্দ। কিন্তু ইতিহাস বিশ্লেষকদের মতে আর্য (বা Aryan) জাতিগোষ্ঠি ইউরোপের মধ্য দিয়ে ইরান হয়ে ভারতে প্রবেশ করে খ্রীস্টপূর্ব ৩০০০-২৫০০ অব্দের মধ্যে, তারাই ভারতে বেদ চর্চা করতে থাকে এবং তারা সমগ্র ভারতে তা ছড়িয়ে দেয়।",
"শাক্তধর্মের ইতিহাস\nশাক্তধর্ম হিন্দুধর্মের একটি শাখা। শাক্তরা \"মহাশক্তি\" অর্থাৎ ঈশ্বরের নারীমূর্তির উপাসক। এই ধর্মমতের মূল ভারতের প্রাগৈতিহাসিক যুগে নিহিত রয়েছে। ২০,০০০ বছর আগে গড়ে ওঠা ভারতের পলীয় যুগের (প্যালিওলিথিক) জনবসতিতে প্রথম দেবীমূর্তির অস্তিত্ব লক্ষিত হয়। সিন্ধু সভ্যতার যুগে দেবীপূজা সংস্কৃতির (কাল্ট) পূর্ণ বিকাশ ঘটেছিল। বৈদিক যুগে দেবীপূজার প্রচলন কমে এলেও, পরবর্তীকালে সংস্কৃত ভাষার মাধ্যমে এই সংস্কৃতির পুনরুজ্জীবন ও প্রসার ঘটেছিল। এই কারণে অনেক দিক থেকেই \"হিন্দু সভ্যতার ইতিহাসকে নারীশক্তির পুনর্জাগরণ হিসেবে দেখা চলে\"।",
"শিব\nহিন্দুধর্মের প্রাচীনতম ধর্মগ্রন্থ হল ঋগ্বেদ। ভাষাতাত্ত্বিক তথ্যপ্রমাণ থেকে জানা যায় যে ১৭০০ থেকে ১১০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দের মধ্যবর্তী সময়ে এই গ্রন্থের রচনা। ঋগ্বেদে রুদ্র নামে এক দেবতার উল্লেখ রয়েছে। রুদ্র নামটি আজও শিবের অপর নাম হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ঋগ্বেদে (২।৩৩) তাঁকে \"মরুৎগণের পিতা\" বলে উল্লেখ করা হয়েছে; মরুৎগণ হলেন ঝঞ্ঝার দেবতাদের একটি গোষ্ঠী। এছাড়াও ঋগ্বেদ ও যজুর্বেদে প্রাপ্ত রুদ্রম্ স্তোত্রটিতে রুদ্রকে নানা ক্ষেত্রে শিব নামে বন্দনা করা হয়েছে; এই স্তোত্রটি হিন্দুদের নিকট একটি অতি পবিত্র স্তোত্র। তবে \"শিব\" শব্দটি ইন্দ্র, মিত্র ও অগ্নির বিশেষণ হিসেবেও ব্যবহৃত হত।"
] | 36 |
ব্রিটিশ কাউন্সিলের প্রতিষ্ঠাতা কে ? | [
"ব্রিটিশ কাউন্সিল\nব্রিটিশ কাউন্সিল () হচ্ছে যুক্তরাজ্য বা বৃটেনের বিশেষায়িত শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রমভিত্তিক সংস্থা, যা বৃটেনসহ বিশ্বব্যাপী শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড পরিচালিত করে থাকে। এটি রাজকীয় সনদসহ ইংল্যান্ড, ওয়েলস্ এবং স্কটল্যান্ডের নিবন্ধনকৃত দাতব্য সংস্থা হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে।\n১৯৩৪ সালে স্যার রেজিনাল্ড লিপার কর্তৃক উজ্জ্বীবিত হয়ে অন্যান্য দেশের সাথে সম্পর্ক স্থাপনে নিয়োজিত ব্রিটিশ কমিটি ব্রিটিশ কাউন্সিল প্রতিষ্ঠিত হয়। ব্রিটিশদের স্বার্থ সংশ্লিষ্টতা, সাংস্কৃতিক প্রচারণা ইত্যাদি বিষয়গুলো ব্রিটিশ কাউন্সিলের মাধ্যমে হবে বলে লিপারের ধারণা ছিল। প্রতিষ্ঠানটি রাজা ৬ষ্ঠ জর্জের ১৯৪০ সালের রাজকীয় সনদের মাধ্যমে মর্যাদা পায়। এটির \"পৃষ্ঠপোষক দপ্তর\" যু্ক্তরাজ্য সরকারের বৈশ্বিক ও কমনওয়েলথ অফিস - উভয়ের মাধ্যমে সংযোগ ঘটিয়ে উত্তরোত্তর স্বাধীনভাবে পরিচালিত হচ্ছে। ব্রিটিশ কাউন্সিলের বর্তমান প্রধান নির্বাহী হিসেবে মার্টিন ডেভিডসন এপ্রিল, ২০০৭ থেকে কর্মরত আছেন।"
] | [
"ব্রিটিশ কাউন্সিল\nব্রিটিশ কাউন্সিলের প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে - মধ্যস্থতাকারী হিসেবে যুক্তরাজ্যের সাথে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক ও শিক্ষার সেতুবন্ধন তৈরী করার মাধ্যমে যুক্তরাজ্য সরকারের আদর্শ ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে অবগত করা। এটির বৈশ্বিক কর্মকাণ্ড পৃথিবীর শতাধিক দেশ ও উপনিবেশগুলোর ২৩৩টি স্থানে পরিচালিত হচ্ছে। সেন্ট্রাল লণ্ডনের হুয়াইট হলের কাছাকাছি স্প্রিং গার্ডেনে এর প্রধান দপ্তর অবস্থিত। এছাড়াও, বৃটিশ কাউন্সিলের অন্যান্য শাখা অফিসগুলো বেলফাস্ট, কার্ডিফ, ম্যানচেষ্টার এবং এডিনবার্গে রয়েছে।\n২০০৬-০৭ অর্থবছরে ৫৫১ মিলিয়ন পাউণ্ড আয় করে ব্রিটিশ কাউন্সিল। তন্মধ্যে ১৯৫ মিলিয়ন পাউণ্ড স্টার্লিং ব্রিটিশ সরকার প্রদান করে। বাকী অর্থ ব্যক্তিগত ও প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে ইংরেজী শিক্ষা প্রদান, পরীক্ষা গ্রহণ এবং পরামর্শদাতা হিসেবে উপার্জিত হয়। মূলতঃ ব্রিটিশ কাউন্সিলের কার্যক্রমের প্রধান ক্ষেত্রগুলো হচ্ছে - শিক্ষা, শিল্পকলা, বিজ্ঞান এবং সমাজব্যবস্থা।\nব্রিটিশ কাউন্সিল শান্তিরক্ষায় ইংরেজী শীর্ষক প্রকল্প লিবিয়ায় চালু রেখেছে। এতে \"আন্তর্জাতিক উন্নয়ন অধিদপ্তর\" এবং \"বৃটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়\" অর্থ যোগান দিচ্ছে যা ব্রিটিশ কাউন্সিল পরিচালিত অন্যান্য ব্যক্তি মালিকানাধীন খাতের মতোই চলমান।",
"ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশ\nব্রিটিশ কাউন্সিল ১৯৩৪ সালে লন্ডন শহরে প্রতিষ্ঠিত হয়। এটা ১৯৫১ সালে ঢাকায় তার শাখা খুলে যখন বাংলাদেশ পাকিস্তানের অংশ ছিল। ২৫ মার্চ ১৯৭১ সালের কালরাত্রিতে, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হওয়ার সময়ে, পাকিস্তান সেনাবাহিনী এই কার্যালয়টিতে আক্রমণ চালায়, সেসময় এই কার্যালয়ে পাহারারত ৮জন পূর্ব পাকিস্তানী পুলিশ অফিসার প্রাণ হারায়। ২০১৩ সালে, শিক্ষাদানে উন্নয়নের লক্ষে ব্রিটিশ কাউন্সিল মাইক্রোসফট বাংলাদেশের সাথে একটি স্মারকলিপিতে সই করে। ১৬ জানুয়ারি ২০১৬-তে, ব্রিটিশ কাউন্সিল উদ্যোক্তা তৈরিতে কাজ করার জন্য একটি অলাভজনক সংস্থা, \"চ্যাঞ্জ মেকারের\" সহায়তায় 'ইনোভেট, ইনকিউবেট এন্ড গ্রো (আইআইজি): একটি সামাজিক কর্মপ্রচেষ্টা সমর্থনকারী প্রোগ্রাম' চালু করে।",
"ব্রিটিশ কাউন্সিল\nমার্ক ল্যাঙ্কাস্টার, মাইকেল মার্টিন এবং অন্যান্য এমপি'রা ব্রিটিশ কাউন্সিলের শাখা ভ্রমণে অতিরিক্ত অর্থ ব্যয়ে জড়িত হয়ে পড়েন। ২০০৮ সালে মার্ক ল্যাঙ্কাস্টার বিমানের বিজনেস ক্লাসে চড়ে ব্যাংককে অনুষ্ঠিত দু'দিনের ব্রিটিশ কাউন্সিল সম্মেলনে যোগ দেন এবং ব্যয় করেন ₤৫,০১৮ যেখানে লেবার এমপি শ্যালি কিবল ইকোনমি ক্লাসে গমন এবং বিজনেস ক্লাসে প্রত্যাবর্তনে ব্যয় করেন ₤২,৪৫২।\nজুন, ২০১০ সালে ব্রিটিশ কাউন্সিলের প্রধান নির্বাহী মার্টিন ডেভিডসন এ বিষয়ে সাংবাদিকদের কাছ থেকে ব্যাপক সমালোচনার মুখোমুখি হন।",
"ব্রিটিশ কাউন্সিল\nসাম্প্রতিক বছরগুলোতে ব্রিটিশ কাউন্সিল রাশিয়ায় তাদের শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে গিয়ে যুক্তরাজ্য-রাশিয়ার মধ্যেকার চাপা উত্তেজনার দরুন বাঁধার মুখোমুখি হয়েছে। ১৯৯৪ সালে উভয় দেশের সরকার কর্তৃক শিক্ষা, বিজ্ঞান এবং সংস্কৃতি ক্ষেত্রে সহযোগিতামূলক চুক্তিতে আবদ্ধ হয়ে বৃটিশ কাউন্সিল তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। কিন্তু যুক্তরাজ্য সরকার রাশিয়ায় ব্রিটিশ কাউন্সিলের অনুকরণে নতুন শিক্ষা কেন্দ্রের চুক্তির কথা লক্ষ্য করে ও প্রতিবাদ জানায়।\nবর্তমানে ব্রিটিশ কাউন্সিল রাশিয়ায় নিবন্ধনকৃত সংস্থা হিসেবে উপার্জনমুখী কার্যক্রমসমূহ থেকে প্রাপ্ত ফি'র অংশবিশেষ কর হিসেবে প্রদান করে। \nএছাড়াও, ই-মেইলের মাধ্যমে ব্রিটিশ কাউন্সিল কর্তৃপক্ষ রাশিয়াকে জানায় যে - তারা রাশিয়ায় নিবন্ধিত করপ্রদানকারী সংস্থা ও নিয়মিত করাদী পরিশোধ করে আসছে এবং রাশিয়ার কর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্ধারিত অন্যান্য করাদীও পরিশোধ করছে।\n২০০৮ সালের ডিসেম্বর মাসে রাশিয়ার আদালত ব্রিটিশ কাউন্সিলের কাছ থেকে দাবীকৃত ২.৩ মিলিয়ন পাউণ্ডের কর সংক্রান্ত মামলা পুণর্বহাল রাখে যদিও নিম্ন আদালতে যুক্তরাজ্যের কূটনীতিবিদদের আশা ছিল খুব দ্রুত এ বিষয়ে সমাধান হবে।",
"ব্রিটিশ কাউন্সিল\n৫৩টি দেশের ৭০টি ব্রিটিশ কাউন্সিল টিচিং সেন্টার রয়েছে। ২০০৬-০৭ শিক্ষাবর্ষে বৃটিশ কাউন্সিল প্রায় তিন লক্ষ শিক্ষার্থীদেরকে ১১ লক্ষ ৮৯ হাজার ঘন্টা শিক্ষা প্রদান করে। ব্রিটিশ কাউন্সিল দাবী করছে যে, এটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় ইংরেজী ভাষা শিক্ষার প্রতিষ্ঠান।\nএছাড়াও, প্রতিষ্ঠানটি যৌথভাবে আইইএলটিএস কার্যক্রম ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইএসওএল এবং আইডিপি এডুকেশন অস্ট্রেলিয়ার সাথে বৈশ্বিকভাবে পরিচালনা করে।\nইংল্যান্ডের বিদ্যালয়সমূহে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাথে ব্রিটিশ কাউন্সিল তিন মিলিয়ন শিশুকে অন্যান্য সংস্কৃতির সাথে সম্পর্ক স্থাপন ও যথাযথ উপলদ্ধির লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক স্কুল এ্যাওয়ার্ড প্রদানের মাধ্যমে উদ্বুদ্ধকরণে একযোগে কাজ করছে। এখন যুক্তরাজ্যের প্রায় ২,৭০০ বিদ্যালয়ে এই সম্মাননা প্রদানের ব্যবস্থা আছে। মধ্যপ্রাচ্যে ব্রিটিশ কাউন্সিল একটি বিদ্যালয়ে শিশুদের নিয়ে যুক্তরাজ্যবিরোধী মনোভাব দূরীকরণ এবং আন্তঃসাংস্কৃতিক সংলাপ কার্যক্রমের মাধ্যমে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে পরিচালনা করছে। অদ্যাবধি মধ্যপ্রাচ্যের ১৫৩টি বিদ্যালয়কে সম্পৃক্ত করে ৫৩টি সহযোগিতামূলক প্রকল্পও চালু রেখেছে বৃটিশ কাউন্সিল।",
"ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশ\nব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশ হচ্ছে ব্রিটিশ কাউন্সিলের একটি শাখা যা বাংলাদেশে ইংরেজি ও ব্রিটিশ শিক্ষা প্রদান করে থাকে এবং সাংস্কৃতিক বিনিময়ে অবদান রাখে। এর প্রধান কার্যালয় ঢাকায় অবস্থিত এবং শাখাসমূহ চট্টগ্রাম ও সিলেটে অবস্থিত। বারবারা উইকহাম হচ্ছেন ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশের পরিচালক।",
"ব্রিটিশ কাউন্সিল\nমার্চ, ২০০৭ সালে ব্রিটিশ কাউন্সিল কর্তৃপক্ষ ঘোষণা করে যে - প্রতিষ্ঠানের মধ্যপ্রাচ্য, উত্তর আফ্রিকা এবং মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়ার শাখাগুলোয় উত্তোরোত্তর বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে, প্রাতিষ্ঠানিক সেবা হিসেবে ইউরোপ থেকে লাইব্রেরী এবং দাপ্তরিক কার্যক্রমে ব্যয় কমানোর পদক্ষেপ নিয়েছে।\nজুন, ২০০৭ সালে ১৯৪৬ সালে তেলআবিব এবং জেরুজালেমেও বৃটিশ কাউন্সিলের কর্মকাণ্ড বন্ধের ঘোষণা দিয়েছেন ব্রিটিশ এমপিরা। এথেন্সে ব্রিটিশ কাউন্সিল লাইব্রেরীসহ বেলগ্রেডেও কর্মকাণ্ড বন্ধ করা হয়েছে। একইভাবে ভারতের ভূপাল ও ত্রিভান্দ্রুমেও একই বছরে ব্রিটিশ কাউন্সিলের কার্যক্রম বন্ধের মুখোমুখি হয়।",
"ব্রিটিশ কাউন্সিল\nওয়াইসিই পুরস্কার প্রদানের ধারণাটি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এবং যুক্তরাজ্যে ক্রম অগ্রসরমান। এ পর্যন্ত পঞ্চাশেরও অধিক দেশের ১৫০জন প্রতিযোগী এ প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছে।\nযুক্তরাজ্যভিত্তিক ওয়াইসিই ক্লাব এপ্রিল, ২০০৯ সালে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। লণ্ডনে অনুষ্ঠিত সম্মেলনের প্রকাশনায় সৃষ্টিশীল এবং সাংস্কৃতিক দক্ষতা এবং কাউন্টারপয়েন্ট খ্যাত থিংক ট্যাংক ২০০৭-২০১০ সালের অর্থনৈতিক সমস্যার ফলে সৃষ্ট সৃষ্টিশীল খাতগুলোর সম্ভাবনার কথা তুলে ধরে। ইনজিনিয়াস মিডিয়ার প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা প্যাট্রিক ম্যাককেনা'র সমাপণী ভাষণের মাধ্যমে সম্মেলন শেষ হয়।\nনতুন ক্লাব অনেক দেশেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ইতোমধ্যেই পোল্যান্ড এবং তুরস্কে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। \nসৃষ্টিশীল খাতের চাহিদা ও চাপের মুখোমুখি হয়ে স্বীকৃতি আদায়ের মাধ্যমে ক্লাবটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সৃষ্টিশীল প্রতিষ্ঠান হিসেবে উন্নতদেশে উদীয়মান এবং উন্নয়নশীল দেশে মাইক্রো-বিজনেস ও এসএমই হিসেবে চিহ্নিত।",
"ব্রিটিশ কাউন্সিল\nব্রিটিশ কাউন্সিল কর্তৃপক্ষ ১৯৪৮ সালে হংকংয়ে তাদের কার্যক্রম চালু করে। ইংরেজী শিক্ষা; যুক্তরাজ্য সম্পর্কে সর্বশেষ তথ্য; ব্রিটিশ শিক্ষাব্যবস্থা ও প্রশিক্ষণ; হংকং সরকারের সাথে দেশ পুণর্গঠন; বিজ্ঞান, কলা, সাহিত্য এবং ডিজাইন তুলে ধরা ছিল কাউন্সিলের প্রধান কর্মকাণ্ড।"
] | 65 |
ত্রিপিটকের মোট কয়টি পিটক আছে ? | [
"বৌদ্ধ ধর্ম\n\"ত্রিপিটক\" বৌদ্ধদের ধর্মীয় গ্রন্থের নাম যা পালি ভাষায় লিখিত। এটি মূলত বুদ্ধের দর্শন এবং উপদেশের সংকলন। পালি তি-পিটক হতে বাংলায় ত্রিপিটক শব্দের প্রচলন। তিন পিটকের সমন্বিত সমাহারকে ত্রিপিটক বোঝানো হয়েছে। এই তিনটি পিটক হলো বিনয় পিটক , সূত্র পিটক ও অভিধর্ম পিটক। পিটক শব্দটি পালি । এর অর্থ - ঝুড়ি, পাত্র , বক্স ইত্যাদি। অর্থাৎ যেখানে কোনো কিছু সংরক্ষন করা হয়। বৌদ্ধদের মূল ধর্মীয় গ্রন্থ । খ্রীষ্ট পূর্ব ৩য় শতকে সম্রাট অশোক এর রাজত্বকালে ত্রিপিটক পূর্ণ গ্রন্থ হিসাবে গৃহীত হয়। এই গ্রন্থের গ্রন্থনের কাজ শুরু হয়েছিল গৌতম বুদ্ধ এর মহাপরিনির্বানের তিন মাস পর অর্থাৎ খ্রীষ্ট পূর্ব ৫৪৩ অব্ধে এবং সমাপ্তি ঘটে খ্রীষ্ট পূর্ব প্রায় ২৩৬ অব্ধে । প্রায় তিনশ বছরে তিনটি সঙ্ঘায়নের মধ্যে এর গ্রন্থায়নের কাজ শেষ হয়।",
"ত্রিপিটক\nত্রিপিটক বৌদ্ধ ধর্মীয় পালি গ্রন্থের নাম। বুদ্বের দর্শন এবং উপদেশের সংকলন। পালি তি-পিটক হতে বাংলায় ত্রিপিটক শব্দের প্রচলন। তিন পিটকের সমন্বিত সমাহারকে ত্রিপিটক বোঝানো হচ্ছে। এই তিনটি পিটক হলো বিনয় পিটক, সূত্র পিটক ও অভিধর্ম পিটক।",
"ধর্মগ্রন্থ\nত্রিপিটক বৌদ্ধ ধর্মীয় পালি গ্রন্থের নাম। বুদ্বের দর্শন এবং উপদেশের সংকলন। পালি তি-পিটক হতে বাংলায় ত্রিপিটক শব্দের প্রচলন। তিন পিটকের সমন্বিত সমাহারকে ত্রিপিটক বোঝানো হচ্ছে। এই তিনটি পিটক হলো বিনয় পিটক, সূত্র পিটক ও অভিধর্ম পিটক।",
"তিপিটক\nতিপিটক তিনটি সাধারণ শ্রেণীতে বিভক্ত। এগুলিকে বলা হয় \"পিটক\" (অর্থাৎ, ঝুড়ি। কারণ, তালপাতায় লেখা পাণ্ডুলিপিগুলি ঝুড়িতে রাখা হত)। এই জন্যই পালি আনুশাসনিক ধর্মগ্রন্থাবলি তিপিটক (সংস্কৃত: ত্রিপিটক) নামে পরিচিত হয়। এই তিনটি পিটক হল:",
"অভিধম্মপিটক\nত্রিপিটকের তিন মূল ধারার অন্যতম একটি হলো অভিধর্ম পিটক। এটিকে বৌদ্ধ দর্শনের সংহত সংস্করণ বলা হয়। এখানে বৌদ্ধ দর্শনের পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণ রয়েছে। তথাগত বুদ্ধ নানা উপদেশের মাধ্যমে যে তত্ত্বসমূহ উপস্থাপন করেছেন, যে নৈতিক আদর্শিক বিষয়সমুহ তিনি অনুসরণ, অণুকরণ ও অণুধাবন করতে উপদেশ দিয়েছেন সে তত্ত্বসমুহের বিন্যস্ত বিশ্লেষণ করা হয়েছে বিনয় পিটকে।",
"ধর্মগ্রন্থ\nত্রিপিটকের তিন মূল ধারার অন্যতম একটি হলো অভিধর্ম পিটক। এটিকে বৌদ্ধ দর্শনের সংহত সংস্করণ বলা হয়। এখানে বৌদ্ধ দর্শনের পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণ রয়েছে। তথাগত বুদ্ধ নানা উপদেশের মাধ্যমে যে তত্ত্বসমূহ উপস্থাপন করেছেন, যে নৈতিক আদর্শিক বিষয়সমুহ তিনি অনুসরণ, অনুকরণ ও অনুধাবন করতে উপদেশ দিয়েছেন সে তত্ত্বসমুহের বিন্যস্ত বিশ্লেষণ করা হয়েছে বিনয় পিটকে। বাঙ্গালী অভিধর্ম গবেষকদের মধ্যে অন্যতম বীরেন্দ্র লাল মুৎসদ্দি অভিধর্ম পিটক সম্বন্ধে বলেছেন:"
] | [
"সার্কিটলজিক্স\nপেশাদারী সংস্করণ \\সার্কিটলজিক্ম প্রো–তে ৭,০০০ বেশি ডিভাইস মডেল এবং ৮টি ভার্চুয়াল ইন্সট্রুমেন্ট রয়েছে। এতে আছে ”৩ ডিল্যাব”। ৩ ডিল্যাব-এ বিভিন্ন যন্ত্রাংশ ত্রিমাত্রিকরূপে দেখা সম্ভব ফলে নতুন শিক্ষার্থীর ইলেকট্রনিকস সম্পর্কে জ্ঞান লাভ সহজতর হয়। এতে ভার্চুয়াল কম্পনেন্ট হিসেবে আছে ব্যাটারী, সুইচ, বৈদ্যুতিক মোটর|মোটর]], বাতি, রোধ(রেজিস্টর), আবেশক (ইনডাক্টর), ধারক (ক্যপাসিটর) এবং ইন্সট্রুমেন্ট হিসেবে রয়েছে অসিলোস্কোপ, সিগন্যাল জেনারেটর, ফ্রিকোয়েন্সি কাউন্টার প্রভৃতি।",
"ত্রিপিটক\nপিটক শব্দটি পালি এর অর্থ - ঝুড়ি, পাত্র, বাক্স ইত্যাদি, অর্থ যেখানে কোনো কিছু সংরক্ষন করা হয়। এটি থেরবাদী বৌদ্ধদের মূল ধর্মীয় গ্রন্থ। খ্রীষ্ট পূর্ব ৩য় শতকে সম্রাট অশোকের রাজত্বকালে ত্রিপিটক পূর্ণাঙ্গ গ্রন্থ হিসাবে স্বিকৃত হয়। এই গ্রন্থের গ্রন্থনের কাজ শুরু হয়েছিল গৌতম বুদ্ধ এর পরিনির্বানের তিন মাস পর অর্থাৎ খ্রিষ্ট পূর্ব ৫৪৩ অব্ধে এবং সমাপ্তি ঘটে খ্রিষ্ট পূর্ব প্রায় ২৩৬ অব্ধে। প্রায় তিনশ বছরে তিনটি সঙ্ঘায়নের মধ্যে এর গ্রন্থায়নের কাজ শেষ হয়।",
"ল্যাপটপ কম্পিউটার\nবেশিরভাগ আধুনিক ল্যাপটপেরই একটি ১৩ ইঞ্চি বা তার থেকে বড় মাপের রঙিন একটিভ ম্যাট্রিক্স প্রদশর্নী রয়েছে যেগুলো সিসিএফএল বা এলইডি উপর ভিত্তি করে বানানো। এগুলোর আবার বিভিন্ন মানের রেজুলেশন থাকে যেমন ১২৮০×৮০০ (১৬:১০) অথবা ১৩৬৬×৭৬৮ (১৬:৯) পিক্সেল অথবা তারো বেশি। যেসব মডেলে এলইডি রয়েছে সেগুলো কম বিদ্যুত খরচ করে এবং বেশি ঔজ্জ্বল্য দেয়। নেটবুকের প্রদশর্নীগুলো হয় সাধারনত ১০ ইঞ্চি বা তার কম পিক্সেল রেজুলেশন থাকে ১০২৪×৬০০ অন্যদিকে নেটবুক ও সাবনেটবুক যাতে ১১.৬ বা ১২ ইঞ্চি প্রদশর্নী আছে সেগুলোতে সাধারন মানের রেজুলেশন থাকে। উচ্চ রেজুলেশনের মানে হল প্রদশর্নীতে বেশি পরিমানের সামগ্রী একসাথে দেখতে পাওয়া। এর ফলে ব্যবহারকারি বহু কাজ একসাথে করতে পারে। আবার ছোট প্রদশর্নীতে বেশি রেজুলেশন হওয়া মানে প্রদশর্নীতে চিত্রগুলো খুব সূক্ষ্ম, তিক্ষ্ম ও সুন্দর দেখাবে। রেজুলেশন বেশি হলেই তা বেশি সামগ্রী বা বস্তু দেখাবে এমন নয় কারণ প্রদশর্নিটিও বড় মাপের হতে হবে। ২০১২ সালে ম্যাকবুক প্রো যাতে রেটিনা প্রদর্শনী রয়েছে প্রথম উচ্চ মাত্রার রেজুলেশন নিয়ে আসে (১৯২০×১০৮০ বা তার বেশি)। এরপর থেকে এখন ১৫ ইঞ্চির প্রদর্শনীতেও ৩২০০×১৮০০ মাপের রেজুলেশন দেখা যায়।",
"ধর্মগ্রন্থ\nপিটক শব্দটি পালি এর অর্থ - ঝুড়ি, পাত্র, বাক্স ইত্যাদি, অর্থ যেখানে কোনো কিছু সংরক্ষন করা হয়। বৌদ্ধদের মূল ধর্মীয় গ্রন্থ। খ্রীষ্ট পূর্ব ৩য় শতকে সম্রাট অশোকের রাজত্বকালে ত্রিপিটক পূর্ণাঙ্গ গ্রন্থ হিসাবে স্বিকৃত হয়। এই গ্রন্থের গ্রন্থনের কাজ শুরু হয়েছিল গৌতম বুদ্ধ এর পরিনির্বানের তিন মাস পর অর্থাৎ খ্রিষ্ট পূর্ব ৫৪৩ অব্ধে এবং সমাপ্তি ঘটে খ্রিষ্ট পূর্ব প্রায় ২৩৬ অব্ধে। প্রায় তিনশ বছরে তিনটি সঙ্ঘায়নের মধ্যে এর গ্রন্থায়নের কাজ শেষ হয়।\nবিনয় ত্রিপিটকের সর্বাগ্রে গ্রথিত বিষয়, বিনয় বুদ্ধশাসনের আয়ু স্বরুপ, বিনয়ের স্থিতিতেই বুদ্ধ শাসনের স্থিতি নির্ভরশীল। গৌতম বুদ্ধের পরিনির্বাণের অব্যবহতি পরে এ বিষয় অনুধাবন করে বুদ্ধশিষ্যদের অগ্রজ সারির প্রাজ্ঞ- অভিজ্ঞ ধর্মধর, বিনয়ধর ও মাতিকাধর ভিক্ষুদের নিয়ে প্রথম সংগীতির মাধ্যমে বিনয় ও ধর্ম সংরক্ষ্ণণের ব্যবস্থা করা হয়। \nসূত্র শব্দের অর্থ সত্যের প্রকাশ । সেই সত্য হলো তথাগত গৌতম বুদ্ধ সম্বোধির প্রভাবে জ্ঞাত সত্যের প্রকাশ। অন্যভাবে বলা যায় চতুরার্য সত্যের সূচনা করে বলেই সূত্র। যে কথা স্বয়ং বুদ্ধ বলেছেন \" চারি আর্য্য সত্য বর্জিত কোন ধর্ম নেই।\" সুতরাং - দুঃখ , দুঃখের কারণ (সমুদয়) , দুঃখ নিরোধ ও দুঃখ নিরোধের উপায় - এই চারি সত্যের ব্যখামুলক প্রকাশ বুদ্ধ বচনের যেই অংশে নিহিত তাই সূত্র। সূত্র জাতীয় বুদ্ধ বচন সমুহ ত্রিপিটকের যে বিভাগে একত্রীকরণ করা হয়েছে তাকে সুত্ত পিটক বলে।Prof. Winternitz লিখেছেন \" the suttapitak is our mose reliable source for the Dhamma , the religion of Buddha and his earliest disciples\""
] | 5 |
আয়িশা মুহাম্মাদের কততম স্ত্রী ছিলেন ? | [
"আয়িশা\nআয়িশা বিনতে আবু বকর (রা.) ছিলেন নবী মুহাম্মদ (সা.) এর স্ত্রীগণের মধ্যে একজন। তিনি ছিলেন তাঁর তৃতীয় স্ত্রী। ইসলামের ঐতিহ্য অনুসারে, তাকে \"উম্মুল মু'মিনিন\" বা \"বিশ্বাসীদের মাতা\" হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। মুসলিম সম্প্রদায় তাকে নবী মুহাম্মদ (সা.) এর স্ত্রী হিসেবে অত্যন্ত সম্মান ও শ্রদ্ধা করে থাকেন। এছাড়া ইসলামের ঐতিহ্যগত ইতিহাসেও তার অবদান অনস্বীকার্য এবং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।"
] | [
"আয়িশা\nহিজরতের পূর্বে মুহাম্মাদ (সা.) তার প্রথম স্ত্রী খাদিজা (রা.) এর মৃত্যুতে অত্যন্ত ব্যথিত ও অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন। আয়িশা (রা.) এর সাথে তার বৈবাহিক জীবন অনেকাংশে তাকে সেই অবস্থা কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করে। তার প্রথম স্ত্রীর পর আয়িশা ছিলেন তার সবচেয়ে প্রিয়তম স্ত্রী। অনেক নির্ভরযোগ্য বিশুদ্ধ হাদিসের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিতভাবে প্রমাণিত। একটি হাদিসে দেখা যায়, এক সাহাবী যখন তাঁকে প্রশ্ন করলেন, \"এই জগতে কোন মানুষটিকে আপনি সবচেয়ে বেশি ভালোবাসেন ?\" তিনি উত্তর দিয়েছিলেন, \"আয়িশা।\"। আরেকটি হাদিসে পাওয়া যায়, আয়শার(রা.) কক্ষটি তিনি এমনভাবে বানিয়েছিলেন যে তার দরজা সরাসরি মসজিদের দিকে ছিল। তিনিই ছিলেন একমাত্র নারী যিনি সামনে থাকা অবস্থায় তার কাছে ওহি অবতীর্ণ হয়েছিল।। অধিকন্তু, আয়েশা ও মুহাম্মাদ (সা.) এর মাঝে অত্যন্ত সুসংহত বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পর্ক ছিল। তিনি তার অনেক জ্ঞান ও আদর্শ আয়শা (রা.)কে নিজ কথা ও কাজের মাধ্যমে প্রদান করেছিলেন এবং অনেক সাহাবীকেই তিঁনি আয়িশা (রা.) এর কাছ থেকে ধর্মীয় বিধান শিক্ষার নির্দেশ দিয়েছিলেন।",
"মায়মুনা বিনতে আল-হারিস\nইবনে কাছির লিখেছেন: \"নবীজীর ইন্তেকালের পরে মায়মুনা আরো চল্লিশ বছর মদিনাতে বসবাস করেছিলেন এবং ৫১ হিজরীতে ৮০ বছর বয়সে তিনি ইন্তেকাল করেন। তিনি ছিলেন নবীজির স্ত্রীদের মধ্যে সর্বশেষ জন।\" মুহাম্মদের স্ত্রীদের মধ্যে কমপক্ষে চার জন (সুফিয়া, সাউদা, আয়িশা এবং উম্মে সালামা ) বিধবা স্ত্রী ৫১ হিজরী সাল পর্যন্ত বেঁচে ছিলেন।",
"মুহাম্মাদের বৈবাহিক জীবন\nমারিয়া আল-কিবতিয়া ছিলেন একজন মিশরীয় কপ্টিক খ্রিস্টান দাসী, যাকে বাইজান্টাইন সাম্রাজ্যের অধিনস্ত মিশরীয় সম্রাট মুকাউকিস মুহাম্মাদের নিকট উপহার হিসাবে প্রদান করেন। মদিনায় ফেরার পথে মারিয়া ইসলাম গ্রহণ করেন এবং তিনি ইব্রাহিম ইবনে মুহাম্মাদ নামে মুহাম্মাদের একটি সন্তানের জন্ম দেন, যে কিনা শিশুকালেই মারা যায় এবং ইব্রাহিমকে জন্ম দেয়ার পর থেকে মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত পরবর্তী পাঁচ বছর তিনি দাসত্ব থেকে মুক্ত ছিলেন। ইবনে কায়িম আল-যাওজিয়া সহ আরও বহু সূত্র দাবি করে যে, তিনি মুহাম্মাদের একজন উপপত্নী ছিলেন, অর্থাৎ তিনি মুহাম্মাদের কৃতদাসী ছিলেন কিন্তু স্ত্রী নয়। এর কারণ ইসলামী আইন মুসলিম পুরুষদেরকে দেনমোহর প্রদানকৃত বিবাহিত নিজ স্ত্রী এবং নিজ অধিকৃত দাসীদের সাথে বৈবাহিক সম্পর্ক করার অনুমতি দেয়ায় তিনি দাসী হয়েও মুহাম্মাদের স্ত্রীগণের পাশাপাশি তার পরিবারের সদস্য ছিলেন। ইবনে ইসহাক রচিত মুহাম্মাদের জীবনী হতে সম্পাদিত ইবনে হিশামের সংকলনে তাকে মুহাম্মাদের স্ত্রীগণের তালিকায় উল্লেখ করা হয় নি।",
"মুহাম্মাদের বৈবাহিক জীবন\n৪র্থ হিজরিতে তার প্রথম স্বামী আবু সালামা এক যুদ্ধে শদীদ হন। অত:পর, শাওয়াল মাসে মুহাম্মাদ তাকে বিবাহ করেন। তিনি মুহাম্মাদের স্ত্রীদের মধ্যে সব শেষে (মতান্তরে ৫৯ বা ৬২ হিজরিতে) মৃত্যুবরণ করেন।\nরায়হানা বিনত যায়েদ ছিলেন বানু নাদির গোত্রের একজন ইহুদী নারী যিনি মুসলমানদের নিকট \"উম্মুল মুমেনীন\" (ইসলামের নবী মুহাম্মাদের স্ত্রী) হিসাবে সম্মাণিত।",
"মুহাম্মাদের বৈবাহিক জীবন\nমুহাম্মদ (৫৭০ - ৬৩২ খ্রিস্টাব্দ) ইসলামের সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবী হিসেবে মুসলমানদের মাঝে গণ্য। নবী মুহাম্মাদ তার জীবনে যে সকল মহিলার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন মুসলমানগণ তাদেরকে উম্মাহাতুল মুমিনীন অর্থাৎ মুসলমানদের মাতা হিসেবে অভিহিত করেন। কোরানে ও সেটি উল্লেখিত হয়েছে। :তিনি আরবীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এবং সেনানায়ক হিসেবেও সফলতা লাভ করেছেন। ইতিহাসে তাকে রাজনৈতিক এবং আধ্যাত্মিক উভয় ক্ষেত্রে সফল ব্যক্তি এবং ইসলামের প্রবর্তক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। যৌবনে তিনি মূলত ব্যবসার মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করতেন। ২৫ বছর বয়সে তাঁর সাথে আরবের তৎকালীন বিশিষ্ট ধনী এবং সম্মানিত ব্যক্তিত্ব খাদিজার বিয়ে হয়। তাদের বৈবাহিক জীবন প্রায় ২৪ বছর স্থায়ী হয়। এরপর খাদিজা মৃত্যুবরণ করেন। খাদিজার জীবদ্দশায় তিনি আর কোন স্ত্রী গ্রহণ করেননি। মুসলিম জীবনীকারদের বর্ণনামতে, খাদিজার মৃত্যুর পর নবী আরও ১০ জন (মতান্তরে ১২ জন) স্ত্রী গ্রহণ করেন। অর্থাৎ তার স্ত্রীর সংখ্যা সর্বমোট ১১ জন (মতান্তরে ১৩ জন)। ইসলামে এককালীনভাবে চারটির অধিক বিয়ে নিষিদ্ধ হলেও কুরআনের সূরা আহযাবের ৫০-৫২ আয়াত অনুযায়ী মুহাম্মাদ চারটির অধিক বিয়ের অনুমতিপ্রাপ্ত ছিলেন। স্ত্রীদের মধ্যে শুধুমাত্র আয়েশা ছিলেন কুমারী। বাকি সব স্ত্রী ছিলেন বিধবা । মুহাম্মাদের জীবনকে প্রধান দুইটি অংশে ভাগ করা হয়: মক্কী জীবন এবং মাদানী জীবন। মক্কী জীবনে তিনি দুইজনকে বিয়ে করেন। তার বাকি সবগুলো বিয়েই ছিলো মাদানী জীবনে তথা হিজরতের পরে। মুহাম্মদের বৈবাহিক জীবনে তালাক ছিল না। এ কারণে কুরআনে তালাক সম্পর্কে বিশদ বর্ণনা রয়েছে।",
"ফাতিমা\nফাতিমা বিনতে মুহাম্মদ (; ; উচ্চারণ ; c. ৬০৫ বা ৬১৫ –৬৩২) ছিলেন ইসলামের নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এবং তাঁর প্রথম স্ত্রী খাদিজার কন্যা। তিনি মুসলিম নর-নারীর কাছে অনুকরণীয় ব্যক্তিত্ব হিসাবে সন্মানিত। মক্কায় কোরাইশদের দ্বারা তাঁর পিতার উপর নিযার্তন ও দুর্দশার সময় ফাতিমা সবসময় তাঁর পাশে ছিলেন। মদিনায় হিজরতের পর তিনি হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর চাচাত ভাই আলি ইবন আবি তালিব সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাঁদের চারটি সন্তান হয়। তাঁর পিতার মৃত্যুর কয়েক মাস পরেই তিনি মৃত্যুবরণ করেন এবং মদিনার জান্নাতুল বাকিতে তাঁকে সমাধিস্থ করা হয়। তাঁর কবরের প্রকৃত অবস্থান জানা যায় নি। অধিকাংশ শিয়ারা বিশ্বাস করে যে, প্রথম খিলাফতের বিপক্ষে হযরত আলিকে রক্ষার সময় তিনি আহত হন এবং যার পরিণতিতে তাঁর অকাল মৃত্যু ঘটে।",
"আবু বকর\nমুহাম্মদ (সা.) এর অসংখ্য হাদিস আবু বকরের মেয়ে ও মুহাম্মদ (সা.) এর স্ত্রী আয়িশা(রা.) মাধ্যমে বর্ণিত হয়েছে। নারীদের মধ্যে তিনি সবচেয়ে অধিক হাদিস বর্ণনাকারী। আবু বকরের মৃত্যুর পর তার সন্তান মুহাম্মদ ইবনে আবি বকরকে আলি ইবনে আবি তালিব লালনপালন করেছেন। উমাইয়াদের হাতে মুহাম্মদ ইবনে আবি বকর নিহত হওয়ার পর আয়িশা তার ভাইপো কাসিম ইবনে মুহাম্মদকে শিক্ষা দেন ও লালনপালন করেন। এছাড়া আয়িশা তার আরেক ভাইপো উরওয়াহ ইবনে জুবায়েরকে শিক্ষাপ্রদান করেছেন যিনি তার সন্তান হিশাম ইবনে উরওয়াহকে শিক্ষা দেন। হিশাম ইবনে উরওয়াহ ছিলেন ইমাম মালিক ইবনে আনাসের প্রধান শিক্ষক।",
"মুহাম্মাদের বৈবাহিক জীবন\nসাফিয়া বিনতে হুয়াই ছিলেন বনু নাদির গোত্রের প্রধান হুয়াই ইবনে আখতাবের কন্যা। খন্দকের যুদ্ধে তার পিতা নিহত হন। তার প্রথম স্বামীর নাম সাল্লাম ইবনে মিশকাম। তার কাছ থেকে তালাকপ্রাপ্ত হয়ে তিনি বনু নাদিরের সেনাপতি কেনানা ইবনে রাবিকে বিয়ে করেন। খায়বার যুদ্ধে বনু নাদির গোত্র পরাজিত হলে কেনানাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয় এবং সাফিয়াকে যুদ্ধবন্দীদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। মুহাম্মাদ তাকে তার মালিক দিহইয়ার কাছ থেকে মুক্ত করেন এবং তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। সাফিয়া তার প্রস্তাব গ্রহণ করেন। মারটিন লিংসের তথ্যমতে, মুহাম্মাদ তাকে দুটি প্রস্তাব দিয়েছিলেন, একটি হল বনু নাদিরে ফিরে যাওয়া আর অপরটি হল ইসলাম গ্রহণ করে মুহাম্মাদকে বিয়ে করা। সাফিয়া দ্বিতীয় প্রস্তাব গ্রহণ করে মুহাম্মাদের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।",
"আয়িশা\nআয়শা (রা.) বিবাহ পরবর্তী সমস্ত জীবনে নবী মুহাম্মদ (সা.) এর সর্বাধিক প্রিয় স্ত্রী ছিলেন। যখন তিনি অসুস্থ হলেন এবং মৃত্যু নিকটবর্তী হওয়ার আশঙ্কা করলেন তখন তিনি তার স্ত্রীগণকে জিজ্ঞাসা করলেন, পরবর্তী ক্রমে তিনি কার ঘরে থাকবেন ? যখন তাঁর স্ত্রীগণ বুঝতে পারলেন যে তিনি আয়শার সাথে থাকতে চাইছেন তখন তারাও তদানুযায়ী অনুমতি ও সম্মতি দিলেন। মৃত্যুর আগপর্যন্ত তিনি তাঁর ঘরেই ছিলেন এবং তার এই প্রিয়তমা স্ত্রীর বাহুযুগলে মাথা রেখেই মহানবী(সা.) শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।"
] | 15 |
কালী বা কালিকার গায়ের রং কি কালো ? | [
"কালী\nপুরাণ ও তন্ত্র সাহিত্যে কালীর বিভিন্ন রূপের বর্ণনা পাওয়া যায়। এগুলি হল: দক্ষিণাকালী, ভদ্রকালী, সিদ্ধকালী, গুহ্যকালী, শ্মশানকালী, মহাকালী, রক্ষাকালী ইত্যাদি। আবার বিভিন্ন মন্দিরে \"ব্রহ্মময়ী\", \"ভবতারিণী\", \"আনন্দময়ী\", \"করুণাময়ী\" ইত্যাদি নামে কালীপ্রতিমা পূজা করা হয়। এই সব রূপের মধ্যে দক্ষিণাকালীর বিগ্রহই সর্বাধিক পরিচিত ও পূজিত। দক্ষিণাকালী চতুর্ভূজা। তাঁর চার হাতে খড়্গ, অসুরের ছিন্ন মুণ্ড, বর ও অভয়মুদ্রা রয়েছে। তাঁর গলায় রয়েছে নরমুণ্ডের মালা। দেবীর গায়ের রং কালো। মাথায় আলুলায়িত চুল এবং তিনি শিবের বুকে ডান পা আগে রেখে দণ্ডায়মান।",
"কালী\n‘কালী’ শব্দটি ‘কাল’ শব্দের স্ত্রীলিঙ্গ। এই শব্দের অর্থ ‘কৃষ্ণ’ (কালো) বা ‘ঘোর বর্ণ’। হিন্দু মহাকাব্য \"মহাভারত\"-এ যে ভদ্রকালীর উল্লেখ আছে, তা দেবী দুর্গারই একটি রূপ। \"মহাভারত\"-এ ‘কালরাত্রি’ বা ‘কালী’ নামে আরও এক দেবীর উল্লেখ পাওয়া যায়। ইনি যুদ্ধে নিহত যোদ্ধৃবর্গ ও পশুদের আত্মা বহন করেন। আবার \"হরিবংশ\" গ্রন্থে কালী নামে এক দানবীর উল্লেখ পাওয়া যায়।",
"কালী\nশ্মশানকালী দেবীর গায়ের রং কাজলের মতো কালো। তিনি সর্বদা বাস করেন। তাঁর চোখদুটি রক্তপিঙ্গল বর্ণের। চুলগুলি আলুলায়িত, দেহটি শুকনো ও ভয়ংকর, বাঁ-হাতে মদ ও মাংসে ভরা পানপাত্র, ডান হাতে সদ্য কাটা মানুষের মাথা। দেবী হাস্যমুখে আমমাংস খাচ্ছেন। তাঁর গায়ে নানারকম অলংকার থাকলেও, তিনি উলঙ্গ এবং মদ্যপান করে উন্মত্ত হয়ে উঠেছেন।"
] | [
"কালি পাংখা\nপুরুষ কালি পাংখা এর ডানার উপরিতল ভেলভেটের মত ঘন কালো; সামনের ডানার শীর্ষ ভাগে একটি তুষারশুভ্র প্রি এপিকাল স্পট অথবা বিন্দু। সামনের এবং পিছনের উভয় ডানার প্রান্তিক যে রোয়া (সিলিয়া) থাকে তা প্ররযায়ক্রমে সাদা এবং কালো। উভয় ডানার নিম্নতল ইষদ কালচে নীল অথবা বেগুনি বর্ন এবং বাদামী যা ডানার গোড়ার (বেস) দিকে এবং কোস্টাল মার্জিন বরাবর চাপা রঙের। সামনের ডানার শীর্শভাগ কালচে মরচে রঙের। সামনে এবং পিছনের উভয় ডানার নিম্নতলে ডিসকোইডাল অংশে দুটি করে কালো স্পট অথবা বিন্দু চোখে পরে যাদের পরেই একটি কর্নাকার (অরিফ্রম/auriform) দাগ দেখা যায় এবং একটি অনিয়মিত এবং অসম বন্দনী ডানার মধ্যভাগ ভরাবর উভয় ডানাকে অতিক্রম করে। উভয় ডানার পোস্টডিসকাল এবং সাবটার্মিনাল অংশের মঝে কিছু কালচে বাদামী ছোপ অথবা দাগ অস্পষ্টভাবে এবং বিচ্ছিন্ন ভাবে বিন্যাস্ত রয়েছে। সামনের ডানার উপরি পৃষ্ঠের শীর্ষভাগে ৩টি ক্রমিক সাদা সাব এপিকাল বিন্দু দেখা যায় যার শীর্ষতম প্রি-এপিকাল বিন্দুটি সর্ববৃহত। পিছনের ডানায় সাদা কেন্দ্রযুক্ত একটি কালো সাবটার্নাল বিন্দু থাকে। পুরুষ কালি পাংখা প্রজাপতির শুংগ দুটি কালো, মাথা, বক্ষদেশ এবং পেটের উপরিতল কালো কোমল ভেল্ভেটের ন্যায় এবং নিম্নভাগ কালচে বাদামী।",
"কালো-পিঠ চেরালেজি\nকালো-পিঠ চেরালেজি (বৈজ্ঞানিক নাম:\"Enicurus immaculatus\") Muscicapidae পরিবারের পাখি। বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, ভুটান, থাইল্যান্ড, মায়ানমারে এদের দেখা মেলে। \nকালো-পিঠ চেরালেজির আকার ২৫ সেন্টিমিটারের মত। মাথার তালু, ঘাড়, চিবুক, পিঠ কালো রঙের। কালো পিঠটার মাঝখান বরাবর ডানার ওপরে আড়াআড়িভাবে একটা চওড়া সাদা টান আছে যেটি নেমে গেছে লেজের গোড়া পর্যন্ত। গলা কালো, বুক ও পেট তুলোট সাদা। কপালের সাদা রং চোখের উপরিভাগ পর্যন্ত বিস্তৃত। লেজের আগা সাদা। লম্বাটে কালো লেজের ওপরে আড়াআড়িভাবে তিনটি সাদা রেখা টানা। লেজের ওপরে সাদা তিনটি টান তখন আলাদাভাবে দেখা যায়। ঠোঁট কালো ও পা গোলাপি। \nকালো-পিঠ চেরালেজি দেখা যায় টিলা-পাহাড়ি বনের জলাশয় ঝিরি-ছড়া-ঝরনার আশপাশে। এরা বেশ নিচু দিয়ে ওড়ে। এদের কণ্ঠ মোলায়েম। পাহাড়ের গায়ের পাথরের খাঁজে বা খোঁদলে অথবা তলায় এরা বাসা বানায় শেওলা ও নরম শুকনো ঘাস দিয়ে। ডিম পাড়ে দু-তিনটি।",
"কালী নাচ\nকালী নাচ বা কালীর নৃত্য হল বাংলার বিভিন্ন অঞ্চলে দেবী কালীর মুখোশ পরে বা রং-কালিতে কালী সেজে নিম্নবর্গীয় হিন্দুধর্মাবলম্বী মানুষদের মধ্যে প্রচলিত নাচ। অবিভক্ত বাংলার ঢাকা, ময়মনসিংহের টাঙ্গাইল, মালদহ, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর, কোচবিহার ইত্যাদি অঞ্চলে এই নাচ প্রচলিত ছিল। বর্তমানে এতদাঞ্চলের হিন্দু অধ্যুষিত এলাকায় এই নাচের চল আছে।\nকালীনাচে কালীর নৃত্য প্রধান হলেও কোথাও কোথাও শিব বা কার্তিক-গণেশের রূপধারীও সঙ্গে থাকেন। সর্বত্র পুরুষেরাই কালী সেজে নৃত্য করেন; তাঁর এক হাতে থাকে খাঁড়া বা তরোয়াল এবং অন্য হাতে থাকে প্রদীপ বা কাগজ/মাটির তৈরি নরমুণ্ড। অনেকক্ষেত্রে পিচবোর্ড বা কাঠ দিয়ে অতিরিক্ত দুটি হাত বানানো হয়।",
"কিলো অ্যাম্পিয়ার লিনিয়ার ইনজেক্টর\nকালি (কিলো অ্যাম্পিয়ার লিনিয়ার ইনজেক্টর) একটি লিনিয়ার ইলেকট্রন এক্সিলারেটর, যা ভারতের ডিআরডিও বা \"ডিফেন্স রিসার্চ ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন\" এবং \"বারক\" বা \"ভাবা পরমানু গবেষনা কেন্দ্র \" মিলিত ভাবে তৈরি করেছে। এটি সাধারণত একটি লেজারের অস্ত্র নয়, এটি এমনভাবে কাজ করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে যে, যদি ভারতীয় অভিমুখে একটি শত্রু ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপন করা হয় তবে \"কালি\" দ্রুত প্রত্যক্ষ শক্তিশালী ইলেক্ট্রন বিম বা রশ্মীর (আরআরবি) দ্বারা ক্ষেপণাস্ত্রকে নির্মূল করে এবং লক্ষ্য বস্তুকে ধ্বংস করে। লেজারের রশ্মীর বিপরীতে, এটি লক্ষ্য বস্তুতে কোন গর্ত বা ছিদ্র সৃষ্টি করে না, কিন্তু ক্ষেপণাস্ত্রের ইলেকট্রনিক ব্যবস্থাগুলিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।",
"কালো চা\nকালো চা বা ব্ল্যাক টি যা রঙ্ চা নামেই বেশি পরিচিত। এটা উলোঙ, সবুজ ও সাদা চায়ের তুলনায় অধিক জারিত (অক্সিডাইজড) করা হয়। ব্লাক টি স্বল্প জারিত চায়ের তুলনায় সাধারণত অধিক গন্ধযুক্ত হয়ে থাকে। ক্যামেলিয়া সাইনেনসিস পাতার গুল্ম (বা ছোট গাছ) থেকে এর চারটি ধরণ তৈরি করা হয়। এক্ষেত্রে ব্যবহৃত দুটি প্রজাতি হল, ছোট-পত্রী চীনা বৈচিত্র্য উদ্ভিদ (C. sinensis subsp. sinensis), যা অধিকাংশ প্রকারের চায়ের জন্য ব্যবহৃত হয়, এবং বড়-পত্রী অসমিয়া উদ্ভিদ (C. sinensis subsp. assamica) যা চিরাচরিত কালো চায়ের জন্য ব্যবহৃত হয়। যদিও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কিছু সবুজ ও সাদা চা উৎপাদিত হয়েছে।",
"কালী\nতন্ত্র পুরাণে দেবী কালীর একাধিক রূপভেদের উল্লেখ পাওয়া যায়। \"তোড়লতন্ত্র\" অনুসারে, কালী আট প্রকার। যথা: দক্ষিণকালিকা, সিদ্ধকালিকা, গুহ্যকালিকা, শ্রীকালিকা, ভদ্রকালী, চামুণ্ডাকালিকা, শ্মশানকালিকা ও মহাকালী। \"মহাকাল সংহিতা\"র অনুস্মৃতিপ্রকরণে নয় প্রকার কালীর উল্লেখ পাওয়া যায়। যথা: দক্ষিণাকালী, ভদ্রকালী, শ্মশানকালী, কালকালী, গুহ্যকালী, কামকলাকালী, ধণকালিকা, সিদ্ধিকালী, সিদ্ধিকালী, চণ্ডিকালিকা। অভিনব গুপ্তের \"তন্ত্রালোক\" ও \"তন্ত্রসার\" গ্রন্থদ্বয়ে কালীর ১৩টি রূপের উল্লেখ আছে। যথা: সৃষ্টিকালী, স্থিতিকালী, সংহারকালী, রক্তকালী, যমকালী, মৃত্যুকালী, রুদ্রকালী, পরমার্ককালী, মার্তণ্ডকালী, কালাগ্নিরুদ্রকালী, মহাকালী, মহাভৈরবঘোর ও চণ্ডকালী। \"জয়দ্রথ যামল\" গ্রন্থে কালীর যে রূপগুলির নাম পাওয়া যায়, সেগুলি হল: ডম্বরকালী, রক্ষাকালী, ইন্দীবরকালিকা, ধনদকালিকা, রমণীকালিকা, ঈশানকালিকা, জীবকালী, বীর্যকালী, প্রজ্ঞাকালী ও সপ্তার্নকালী।",
"গো শালিক\nগোশালিক সর্বোচ্চ ২৩ সেন্টিমিটার পর্যন্ত লম্বা হয়। এদের ঠোঁট লম্বা এবং হলুদাভ, ঠোঁটের গোড়া লালাচে। কালো পুতির মতো দুটো চোখ এবং চোখের দু’পাশে, দু’ডানার পাশে লম্বা রেখার মতো সাদা পালক এদের আকর্ষণীয় করে তোলে। এদের বুকের পালক সাদা বা সাদাটে, লেজ পুরোটাই কালো রঙের। এছাড়া পিঠ, মাথা, গলার পালকের রং কালো। গোশালিকের স্ত্রী ও পুরুষে কোন ভিন্নতা নেই। অপ্রাপ্তবয়স্ক শালিকের গায়ের রঙ গাঢ় বাদামি। এরা বেশ ধীরলয়ে ওড়ে এবং ওড়ার ধরন অনেকটা প্রজাপতির মত। সম্পূর্ণ শ্বেতকায় গোশালিক দেখা গেছে, তবে তা হয়েছে জিনগত কারণে।"
] | 79 |
তানিয়া আহমেদ পরিচালিত প্রথম চলচ্চিত্রের নাম কী ? | [
"তানিয়া আহমেদ\n২০০৪ সালে হুমায়ূন আহমেদ পরিচালিত \"শ্যামল ছায়া\" চলচ্চিত্র দিয়ে তার বড় পর্দায় অভিষেক হয়। এতে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালীন পলায়নরত এক নৌকায় নারী ডাক্তার রাত্রি চরিত্রে তার অভিনয় বাংলাদেশের পাশাপাশি পশ্চিমা বিশ্বেও সামাদৃত হয়। এই কাজের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে বাচসাস পুরস্কার অর্জন করেন। ২০০৪ ও ২০০৫ সালে তিনি \"৬৯\", \"বেলাভূমি\", \"শ্রীকান্ত\", \"আমাদের আনন্দবাড়ি\", \"ঘুণপোকা\", ও \"সুখনগর অ্যাপার্টমেন্ট\" নাটকে অভিনয় করেন। ২০০৫ সালে তিনি সাইফুল ইসলাম মান্নু পরিচালিত \"সাপলুডু\" টেলিভিশন ধারাবাহিকে খল চরিত্রে অভিনয় করেন। পরবর্তীতে তিনি মোস্তফা সরয়ার ফারুকী পরিচালিত \"মেড ইন বাংলাদেশ\" (২০০৭), হুমায়ূন আহমেদ পরিচালিত \"নয় নম্বর বিপদ সংকেত\" (২০০৭) চলচ্চিত্র, ও স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র \"বিশ্বরণ্যের নদী\"-তে কাজ করেন।"
] | [
"তানিয়া আহমেদ\n২০১৪ সালে তিনি তার প্রথম চলচ্চিত্র নির্মাণের কাজ শুরু করেন। শুরুতে চলচ্চিত্রটির নাম রাখা হয় \"গুড মর্নিং লন্ডন\"। পরে তা \"ভালোবাসা এমনই হয়\" নামে পরিবর্তন করা হয়। এটি বাবা ও মেয়ের দ্বন্দ্বের গল্প। এতে শ্রেষ্ঠাংশে অভিনয় করেন বিদ্যা সিনহা সাহা মীম, ইরফান সাজ্জাদ, তারিক আনাম খান, মীর সাব্বির। চলচ্চিত্রটি ২০১৭ সালে ফেব্রুয়ারি মাসে ভালোবাসা দিবস উপলক্ষ্যে মুক্তি পায়। ২০১৫ সালে তিনি মাছরাঙ্গা টেলিভিশনে প্রচারিত রায়হান খানের \"সুপারস্টার\", ও এনটিভিতে প্রচারিত হিমেল আশরাফের \"একদিন ছুটি হবে\" টেলিভিশন ধারাবাহিকে কাজ করেন। ঈদুল আযহায় বাংলাভিশন চ্যানেলে প্রচারিত \"সিকান্দার বক্স এখন নিজ গ্রামে\" মিনি ধারাবাহিকে নাম চরিত্রের বড় বোনের ভূমিকায় অভিনয় করেন।",
"তানিয়া আহমেদ\n২০০৪ সালে হুমায়ূন আহমেদ পরিচালিত \"শ্যামল ছায়া\" চলচ্চিত্রে অভিনয় করে তিনি প্রশংসিত হয় এবং শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে বাচসাস পুরস্কার লাভ করেন। এছাড়া তিনি হাস্যরসাত্মক \"মেড ইন বাংলাদেশ\" (২০০৭) ও \"নয় নম্বর বিপদ সংকেত\" (২০০৭) চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। ২০১৬ সালে \"কৃষ্ণপক্ষ\" চলচ্চিত্রে অভিনয় করে তিনি শ্রেষ্ঠ পার্শ্বচরিত্রে অভিনেত্রী বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। ২০১৭ সালে তার পরিচালিত প্রথম চলচ্চিত্র \"ভালোবাসা এমনই হয়\" মুক্তি পায়।",
"তৌকির আহমেদ\nতৌকির আহমেদ পরিচালিত প্রথম নাটক \"তোমার বসন্ত দিনে\"। ২০০৪ সালে তিনি তার ষষ্ঠ নাটক \"অরন্যের সুখ দুঃখ\" পরিচালনা করেন। একই বছর তার চলচ্চিত্র পরিচালনায় অভিষেক হয় বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র জয়যাত্রা পরিচালনার মাধ্যমে। চলচ্চিত্রটি আমজাদ হোসেন রচিত একই নামের উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত। এই চলচ্চিত্র পরিচালনার মাধ্যমে তিনি ২০০৫ সালে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র পরিচালক বিভাগে মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার অর্জন করেন। চলচ্চিত্রটি ২০০৬ সালে ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব-এ প্রদর্শিত হয় এবং শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রের পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়। এই চলচ্চিত্রের জন্য তিনি ২০০৮ সালে প্রদত্ত জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে শ্রেষ্ঠ প্রযোজক, শ্রেষ্ঠ পরিচালক ও শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার বিভাগে পুরস্কার অর্জন করেন। ২০০৬ সালে মুক্তি পায় তাঁর রচিত ও পরিচালিত চলচ্চিত্র \"রূপকথার গল্প\"। এই চলচ্চিত্র পরিচালনার মাধ্যমে তিনি ২০০৭ সালে দ্বিতীয় বারের মত শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র পরিচালক বিভাগে মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার অর্জন করেন। চলচ্চিত্রটি ২০০৮ সালে ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব-এ প্রদর্শিত হয় এবং দর্শকদের বিবেচনায় শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করে। ২০০৭ সালে হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাস অবলম্বনে নির্মাণ করেন দারুচিনি দ্বীপ। চলচ্চিত্রটি ২০০৮ সালে প্রদত্ত জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে সাতটি বিভাগে পুরস্কার অর্জন করে। তাঁর শ্বশুর, আবুল হায়াত, একই ছায়াছবির জন্য \"সেরা সহ-অভিনেতা\" হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। চলচ্চিত্রটি বালি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব-এ প্রদর্শিত হয় এবং দর্শকদের বিবেচনায় শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করে।",
"খান আতাউর রহমান\nতার প্রথম পরিচালিত চলচ্চিত্র \"অনেক দিনের চেনা\"। ছায়াছবিটি ১৯৬৩ সালে মুক্তি পায়। ১৯৬৭ সালে তিনি বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজউদ্দৌলার জীবনী নিয়ে নির্মাণ করেন \"নবাব সিরাজউদ্দৌল্লা\"। চলচ্চিত্রটি ১৯৬৯ সালে মস্কো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব-এ প্রদর্শিত হয় এবং শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র হিসেবে গোল্ডেন প্রাইজের জন্য মনোনীত হয়। এরপর তিনি নির্মাণ করেন \"সাত ভাই চম্পা\", \"অরুণ বরুণ কিরণমালা\", \"জোয়ার ভাটা\"। মুক্তিযুদ্ধের পর ১৯৭৩ সালে নির্মাণ করেন \"আবার তোরা মানুষ হ\" ; যার বিষয়বস্তু ছিল যুদ্ধ পরবর্তী বাস্তবতা। ১৯৭৫ সালে \"প্রমোদ কর\" ছদ্মনামে গ্রামীণ পটভূমিতে নির্মাণ করেন রোমান্টিক চলচ্চিত্র \"সুজন সখী\"। এই চলচ্চিত্রের জন্য তিনি ১ম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার হিসেবে পুরস্কৃত হয়। ৮০'র দশকের নির্মাণ করেন \"হিসাব নিকাশ\" এবং \"পরশপাথর\" নামের দুইটি ছায়াছবি। মুক্তিযুদ্ধের উপর ১৯৯৪ সালে তিনি \"এখনো অনেক রাত\" চলচ্চিত্র নির্মাণের কাজ শুরু করেন। ১৯৯৭ সালে ছবির কাজ শেষ হয়। কিন্তু সেন্সর বোর্ড ছবির ৭টি স্থানে দৃশ্য কেটে ফেলার নির্দেশ দেয়ায় ক্ষুব্ধ হন তিনি।",
"আনিসুর রহমান মিলন\nমিলন অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র \"হাজার বছর ধরে\" (২০০৫)। এতে তিনি নৌকার মাঝি করিম শেখ চরিত্রে অভিনয় করেন। ঔপন্যাসিক ও চলচ্চিত্র নির্মাতা জহির রায়হান রচিত \"একই নামের\" উপন্যাস অবলম্বনে ছবিটি পরিচালনা করেন রায়হানের সহধর্মিনী সুচন্দা। ২০০৬ সালে তিনি \"জয়িতা\", \"প্রজাপতিকাল\", \"হাটকুড়া\", \"মধুময়রা\", \"অতঃপর\" টেলিভিশন চলচ্চিত্রের অভিনয় করেন। \"মধুময়রা\" নাটকে অভিনয়ের জন্য তিনি ৯ম মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কারে সমালোচক শাখায় সেরা টিভি অভিনেতা বিভাগে পুরস্কার লাভ করেন। ২০০৭ সালে এনটিভিতে প্রচারিত হয় তার অভিনীত টেলিভিশন ধারাবাহিক \"১১১ এ নেলসন নাম্বার\"। একটি ডর্মিটরির রুম নিয়ে গল্পটি আবর্তিত হয়। চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ প্রযোজিত ধারাবাহিকটি পরিচালনা করেন নাঈম ইমতিয়াজ নেয়ামুল। এরপর তাকে সাদিক আহমেদ পরিচালিত তারকা সমৃদ্ধ চলচ্চিত্র \"দ্য লাস্ট ঠাকুর\" সিনেমায় অভিনয় করতে দেখা যায়।",
"মনতাজুর রহমান আকবর\n২০০১ সালে তিনি পরিচালনা করেন \"কঠিন বাস্তব\"। রিয়াজ, আমিন খান ও কেয়া অভিনীত ছায়াছবিটি এই বছর হিট সিনেমার তালিকায় নাম লেখায়। এটি চিত্রনায়িকা কেয়ার প্রথম চলচ্চিত্র। একই বছর বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ প্রযোজনায় নির্মাণ করেন মনে পড়ে তোমাকে। এতে প্রথমবারের মত বাংলাদেশী ও বাংলা ছায়াছবিতে অভিনয় করেন কলকাতার অভিনেত্রী রিয়া সেন। ২০০৩ সালে পরিচালনা করেন \"বিগ বস\"। এই চলচ্চিত্রের একটি গানের কথাও লিখেছেন তিনি। ২০০৪ সালে মুক্তি পায় আমিন খান অভিনীত \"জীবনের গ্যারান্টি নাই\" ও \"ভন্ড নেতা\" এবং মান্না ও মৌসুমী অভিনীত \"ভাইয়ের শত্রু ভাই\"। ২০০৯ সালে ডিপজল ও রেসিকে নিয়ে নির্মাণ করেন \"কাজের লোক\"। ছায়াছবিটি সমালোচকদের প্রশংসা অর্জন করে এবং তিনি জনতার নিঃস্বার্থ পারসোনালিটি অ্যাওয়ার্ডে সেরা পরিচালকের পুরস্কার অর্জন করেন। একই বছর রিয়াজ ও শাবনূর জুটিকে নিয়ে নির্মাণ করেন রোমান্টিক ঘরানার \"তুমি আমার স্বামী\"। ২০১০ সালে সঙ্গীতশিল্পী এসডি রুবেল ও শাবনূরকে নিয়ে নির্মাণ করেন 'এভাবেই ভালোবাসা হয়\"। এছাড়া ডিপজল ও রেসীকে নিয়ে নির্মাণ করেন \"রিকশাওয়ালার ছেলে\" ও \"মায়ের চোখ\"।",
"খান আতাউর রহমান\nখান আতা ১৯৫৯ সালে পাকিস্তানি পরিচালক আখতার জং কারদার পরিচালিত উর্দু ভাষার চলচ্চিত্র \"জাগো হুয়া সাভেরা\"তে মূল ভূমিকাতে অভিনয়ের মাধ্যমে তার চলচ্চিত্র জীবন শুরু করেন। এতে তার বিপরীতে ছিলেন ভারতীয় অভিনেত্রী তৃপ্তি মিত্র। এ ছায়াছবির সহকারী পরিচালক ছিলেন জহির রায়হান। চলচ্চিত্র জগতে তিনি আনিস নামটি ব্যবহার করতেন। একই বছরে মুক্তি পায় তার অভিনীত প্রথম বাংলা ভাষার চলচ্চিত্র \"এ দেশ তোমার আমার\"। এই চলচ্চিত্রের পরিচালক ছিলেন এহতেশাম। ১৯৬০ সালে জহির রায়হানের সাথে গড়ে তোলেন লিটল সিনে সার্কেল। এতে পরের বছরগুলোতে তার জনপ্রিয়তা বেড়ে যায়। অভিনেতা হিসেবে তিনি কাজ করেছেন \"কখনো আসেনি\", \"যে নদী মরুপথে\", \"সোনার কাজল\", \"জীবন থেকে নেয়া\", \"সুজন সখী\" এর মতো সফল চলচ্চিত্রে।",
"তানিয়া আহমেদ\nতানিয়া ২০১৬ সালে হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাস অবলম্বনে মেহের আফরোজ শাওন নির্মিত \"কৃষ্ণপক্ষ\" চলচ্চিত্রে জেবা চরিত্রে অভিনয় করেন। এই কাজের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ পার্শ্বচরিত্রে অভিনেত্রী বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। তিনি ২০১৭ সালে এস আই টুটুলের গীত, সুর ও সঙ্গীতে \"বন্ধু\" ও \"পুড়ে যাবি\" গান দুটির ভিডিও পরিচালনা করেন। এপ্রিল মাসে কক্সবাজার ও ঢাকার বিভিন্ন স্থানে গান দুটির চিত্রায়ন হয়।",
"টিনা মুনিম\n১৯৭৬ সালের ডিসেম্বর মাসে টিনা অভিনেতা দেব আনন্দ এর প্রযোজনা এবং পরিচালনা করা চলচ্চিত্র 'দেছ পারদেছ' এ অভিনয়ের সুযোগ পান, চলচ্চিত্রটি ১৯৭৮ সালে মুক্তি পায়, এটিই ছিলো টিনা অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র। টিনা অভিনীত গুরুত্বপূর্ণ চলচ্চিত্র হচ্ছে 'লুটমার' (১৯৮০), 'মান পাছান্দ' (১৯৮০), 'কারয্' (১৯৮০), 'বাতো বাতো মেঁ' (১৯৭৯), 'ফিফটি ফিফটি' (১৯৮১), 'রকি' (১৯৮১), 'ছউতেন' (১৯৮৩), 'বেওয়াফাই' (১৯৮৫), 'ইয়ে ভাদা রাহা' (১৯৮২), 'ইনসাফ ম্যাঁ কারুঙ্গা' (১৯৮৫), 'আলাগ আলাগ' (১৯৮৫) এবং 'আধিকার' (১৯৮৬)।"
] | 76 |
বাংলাদেশে কত সাল থেকে প্রথম ৪জি পরিষেবা চালু হয়েছিল ? | [
"৪জি\nবাণিজ্যিকভাবে দুই ধরণের ফোরজি প্রযুক্তি স্থাপিত হয়েছে: মোবাইল ওয়াইম্যাক্স (২০০৬ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রথম) এবং লং টার্ম ইভোলিউশন বা এলটিই (২০০৯ সালে নরওয়ের ওসলো এবং সুইডেনের স্টকহোমে প্রথম)। তবে বর্তমানে ৪জি এর সেসব প্রাথমিক সংস্করণগুলোকে বাস্তবিক ৪জি হিসেবে দাবী করা যাবে কিনা তা নিয়ে বিতর্ক আছে, যার প্রধান কারণ হল আইএমটি অ্যাডভান্সড এর কিছু প্রয়োজনীয় নিয়ম।\nযুক্তরাষ্ট্রে স্প্রিন্ট নেক্সটেল ২০০৮ সালে মোবাইল ওয়াইম্যাক্স নেটওয়ার্ক স্থাপন করে এবং মেট্রোপিসিএস ২০১০ সালে প্রথম এলটিই সেবা চালু করে। তারবিহীন ইউএসবি মডেম প্রথম থেকেই লভ্য ছিল, কিন্তু ওয়াইম্যাক্স স্মার্টফোন লভ্য হয় ২০১০ সাল থেকে এবং এলটিই স্মার্টফোন ২০১১ সাল থেকে। তবে ইউরোপীয় বাজারে বর্তমানে ওয়াইম্যাক্স স্মার্টফোন বিক্রয় বন্ধ রয়েছে। বাংলাদেশে ২০১৮ সালে মোবাইল ফোনে ৪জি (এলটিই) সেবা প্রদান শুরু হয়।"
] | [
"গ্রামীণফোন\nগ্রামীণফোন ১৯৯৬ সালের ২৮ নভেম্বর বাংলাদেশ ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় থেকে মোবাইল ফোন অপারেটর হিসেবে লাইসেন্স পায়। লাইসেন্স পাওয়ার পর গ্রামীণফোন ১৯৯৭ সালের ২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসে তার কার্যক্রম শুরু করে। উল্লেখ্য যে এ অপারেটরটি বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয়। এবং দেশের প্রত্যান্ত অঞ্চলেও উন্নত মানের সেবা প্রধান করে থাকে। বর্তমানে গ্রামীন ফোনের গ্রাহক সংখ্যা প্রায় ৭ কোটি। গতবছরেও ৩জি সেবা থাকলেও ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে চালু করা হয় ৪জি সেবা।বর্তমানে বাংলাদেশের ৬৪ জেলায় ৪জি নেটওয়ার্কের সেবা প্রদান লক্ষে কাজ করা হচ্ছে।",
"গেদে রেলওয়ে স্টেশন\nসীমিত মালবাহী সেবা কয়েক বছরের জন্য বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে চলাচল করে, কিন্তু যাত্রী পরিষেবা শুধুমাত্র ২০০৮ সালে পুনর্জাগরিত হয়, ২০০৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এবং ভারতের তখনকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রণব মুখার্জির ঢাকা ভ্রমণের পর। ২০০৭ সালের জুলাই মাসের ৮ তারিখ প্রথম ট্রেন (মৈত্রী এক্সপ্রেস) ভারতীয় সরকারি কর্মকর্তাদের বহন করে, একটি পরীক্ষা চালানোর মাধ্যমে কোলকাতা থেকে ঢাকা পর্যন্ত চলে। ২০০৮ সালের ১৪ এপ্রিল, বাংলা পহেলা বৈশাখের দিন থেকে দ্বি-সাপ্তাহিক এই ট্রেন সাভিস চালু করা হয়। মৈত্রী এক্সপ্রেসের যাত্রীদের ভিসার জন্য আবেদন করার ক্ষেত্রে এটি \"রেল-গেদে দ্বারা\" (ভারতীয় ভিসার জন্য) বা \"রেল-দর্শনা দ্বারা\" (বাংলাদেশী ভিসার জন্য) হিসাবে এন্ট্রি পোর্ট উল্লেখ করার জন্য অপরিহার্য।",
"বাংলাদেশে বিমান চালনার ইতিহাস\n১৯৪৮ সালে পূর্ব পাকিস্তান ফ্লাইং ক্লাব প্রতিষ্ঠিত হয় ।১৯৬০ সালের মধ্যে ব্রিটিশ ওভারসীজ এয়ারওয়েজ কর্পোরেশন এবং প্যান আমেরিকান এয়ারওয়েজ ঢাকা তে যাত্রা পরিচালনা শুরু করে , পি আই এ বোয়িং ৭০৭ এবং ভিকারস ভি সি ১০ জেট বিমান চালু করে এবং আগের রাজকীয় বিমান ঘাঁটির বাহিরে যশোর, চট্টগ্রাম, ঠাকুরগাঁও, ঈশ্বরদী ও কুমিল্লায় নতুন বিমান বন্দর নির্মিত হয় [১১]১৯৬২ সালের সিনো-ভারতীয় যুদ্ধের সময় পূর্ব পাকিস্তানে পরিসেবা দেওয়া কঠিন হয়ে যাচ্ছিল যার ফলে পি আই এ ১৯৬৬ সালে অবস্থার উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত এই পথে সিকোর্স্কি এস ৬১ হেলিকপ্টার চালু করে ।১৯৭১ সালের যুদ্ধে সৈন্য পরিবহণ এর মাধ্যমে পি আই এ পাকিস্তান সেনাবাহিনী কে সাহায্য করে এবং ভারতীয় বিমান বাহিনীর আক্রমণের মুখে কিছু বিমান হারায় ।যুদ্ধ শুরু হওয়ার কিছুদিন পরেই ঢাকাতে সরকারী যাত্রিদের জরুরী পরিবহণের জন্য পাকিস্তান আন্তর্জাতিক বিমান ১০ থেকে ১৩ মার্চ তাদের সব আন্তর্জাতিক চলাচল বাতিল করে ।এই সরকারী যাত্রীদের প্রায় সবাই ছিল বেসামরিক পোশাকে পাকিস্তানী যোদ্ধা।",
"বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স\nরাষ্ট্রপতি অধ্যাদেশ নং ১২৬ অনুসারে ১৯৭২ সালের ৪ জানুয়ারি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স গঠিত হয়। \nএদিন বাংলাদেশ বিমানবাহিনী থেকে একটি ডিসি-৩ বিমান নিয়ে \"জাতির বাহন\" হিসেবে বাংলাদেশ বিমান যাত্রা শুরু করে। \nসাবেক পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের ২৫০০ কর্মচারী ও কিছুসংখ্যক কর্মকর্তা এবং ১০ জন বোয়িং ৭০৭ পাইলট ও ৭ জন অন্যান্য পাইলটের সমন্বয়ে এই প্রতিষ্ঠানটি গঠিত হয়। প্রাথমিকভাবে এর নাম ছিল এয়ার বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল।\n১৯৭২ এর ৪ ফেব্রুয়ারীতে আভ্যন্তরিন সেবার মাধ্যমে বিমান তার যাত্রা শুরু করে । ভারত থেকে নিয়ে আসা ম্যাকডনেল ডগলাস ডিসি-৩ ছিল প্রথম সংযোজন। ডগলাস ডিসি-৩ ঢাকার সাথে চট্টগ্রাম, যশোর এবং সিলেটের যোগাযোগ স্থাপন করেছিল। এই ডিসি-৩ বিমানটি ১০ ফেব্রুয়ারি ১৯৭২ এ পরীক্ষামূলক উড্ডয়নের সময় দুর্ঘটনার মুখে পরে। এই দুর্ঘটনার পর ভারত সরকার বানংলাদেশকে আরও দুইটি ফকার এফ-২৭ উপহার দেয়। অল্প সময়ের ব্যাবধানে বাংলাদেশ বিমানের ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য বিশ্ব চার্চ কাউন্সিলের কাছ থেকে লোন নিয়ে ডগলাস ডিসি-৬ সংযোযন করা হয়। পরবরতিতে ডগলাস ডিসি-৬ এর পরিবর্তে ডগলাস ডিসি-৬বি নিয়ে আসা হয়, যা টোল এয়ার এর কাছ থেকে লিজ নেওয়া হয়েছিল। ডগলাস ডিসি-৬বি ঢাকা কলকাতা রুটে চলাচল করত। ১৯৭২ সালের চৌঠা মার্চ বিমান বাংলাদেশ, ব্রিটিশ সরকার থেকে পাওয়া একটি বোয়িং ৭০৭ চার্টার্ড প্লেন নিয়ে ঢাকা টু লন্ডন রুটে প্রথম সাপ্তাহিক আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করে। ঢাকা-কোলকাতা রুটে নিয়মিত সেবা প্রদানের জন্য ১৯৭২ সালের ৩ মার্চ ভারত থেকে একটি ফকার এফ-২৭ আনা হয়। ওই বছর বিমান প্রায় ১,০৭৮ টি ফ্লাইটে ৩,৮০,০০০ জন যাত্রী পরিবহন করে এবং নতুন ৩ টি ফকার এফ-২৭ যোগ করে। এবং একটি বোয়িং ৭০৭-৩২০সি ১৯৮১ সালে ঢাকা টু হিথ্রো রুটে সংযোজন করা হয়।\nঢাকা-কোলকাতা রুটে নিয়মিত ২ টি ফ্লাইট পরিচালন করার জন্য ১৯৭৩ সালে আরো ৪ টি ফকার এফ-২৭ আনা হয়। একই সময় একটি বোয়িং ৭০৭ সংযুক্ত হলে বিমান ঢাকা টু লন্ডন সপ্তাহে ২ টি ফ্লাইট চালু করে। সে বছরেই বিমান চট্টগ্রাম টু কলকাতা রুটে সেবা প্রদান শুরু করে। ১৯৭৪ সালের ফেব্রুয়ারী, কাঠমান্ডু, নভেম্বরে ব্যাংকক এবং ডিসেম্বরে দুবাই রুটে পরিসেবা চালু করে। ১৯৭৬ বিমান দুইটি ফকার এফ-২৭ বিক্রি করে একটি বোয়িং ক্রয় করে আবু ধাবি, করাচী ও মুম্বাই রুটেও সার্ভিস চালু করে। ১৯৭৭ সালের ফেব্রুয়ারীতে আরও একটি বোয়িং কিনে সিঙ্গাপুরে এই পরিসেবা শুরু করে। পরের বছর বিমান তার ৪র্থ বোয়িং ক্রয়ের মাধ্যমে জেদ্দা, দোহা ও আমস্টারডাম রুটে সার্ভিস চালু করে এবং সে বছরেই বিমান পাবলিক সেক্টোর কোম্পানিতে রুপান্তরিত হয় এবং পরিচালনা পর্ষদ দ্বারা পরিচালিত হয়। ১৯৭৭-৭৮ অর্থ বছরে বিমান ব্রেক ইভেন পয়েন্ট স্পর্শ করে এবং পরের বছর লাভের মুখ দেখে। কুয়ালালামপুর, এথেন্স, মাসকট ও ত্রিপলির আন্তর্জাতিক রুট ১৯৭৯ সালে সংযুক্ত হয়। ১৯৮০তে ইয়াং ,টোকিও এবং ধাবাওং রুট ও চালু করে বিমান। ২০০৭ এ ম্যাকডনেল ডগলাস ডিসি ১০-৩০ ঢাকা থেকে কুয়ালালামপুর বিমান বন্দরে অবতরন করে।",
"৩জি\n১৯৮০-এর দশকের প্রথম দিকে আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়নের গবেষণার মাধ্যমে থ্রিজি প্রযুক্তির উদ্ভাবন ঘটে। প্রায় ১৫ বছরের গবেষণার মাধ্যমে এর মানোন্নয়ন ঘটেছে। এটি জনসাধারণের জন্য অবমুক্ত করা হয় আইএমটি-২০০০ নামে। তরঙ্গ বর্ণালির ৪০০ মেগাহার্জ থেকে ৩ গিগাহার্জ পর্যন্ত থ্রিজি-এর জন্য বরাদ্দ ছিল। বর্তমানে সরকার এবং যোগাযোগ কোম্পানি উভয়েই থ্রিজি অনুমোদন করেছে। ১৯৯৮ সালে প্রথম প্রাক-বাণিজ্যিক থ্রিজি নেটওয়ার্ক চালু করে জাপানের কোম্পানি এনটিটি ডোকোমো এবং এর বাণিজ্যিকীকরণ করা হয় ফোমা নামে। ২০০১ সালের মে মাসে ডাব্লু-সিডিএমএ-এর জন্য পরীক্ষামূলকভাবে এটি চালু করা হয়। বাণিজ্যিকভাবেও প্রথম এনটিটি ডোকোমো থ্রিজি চালু করে। এটি চালু করা হয় ২০১১ সালের ১ অক্টোবর। প্রথম ইউরোপীয় প্রাক-বাণিজ্যিক নেটওয়ার্ক ছিল ইউএমটিএস নেটওয়ার্ক। আইল অফ ম্যানে এটি চালু করে মাংক্স টেলিকম এবং প্রথম ২০০১ সালের ডিসেম্বরে প্রথম বাণিজ্যিক নেটওয়ার্ক চালু করে টেলিনর।",
"বাংলাদেশের ইলেকট্রনিক্স শিল্প\nবাংলাদেশে ১৯৩০ সালে ইলেক্ট্রনিক্স যন্ত্রাংশের ব্যবহার শুরু হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় সামরিক বাহিনী তাদের প্রয়োজনে যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে রেডিও স্টেশন, টেলিফোন এক্সচেঞ্জ এবং তারহীন যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করা শুরু করে এবং এর মাধ্যমেই ব্রিটিশ ভারতে যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে আধুনিক প্রযুক্তির পরিচয় ঘটে।\n১৯৫০ সালে বেসরকারি পর্যায়ে ইলেক্ট্রনিক শিল্পের যাত্রা শুরু হয় এবং শুরুর দিকে কিছু কারখানা সীমিত সংখ্যক রেডিও তৈরি করার মধ্য দিয়ে এই শিল্পে প্রবেশ করে। ষাটের দশকে আরও প্রতিষ্ঠান এতে যুক্ত হয় এবং ১৯৬৪ সালে ঢাকাতে প্রথম টেলিভিশন স্টেশন প্রতিষ্ঠার পর কিছু প্রতিষ্ঠান টেলিভিশন সেট বানানো শুরু করে।\nডিজিটাল টেলিফোন সিস্টেমের সাথে মানুষ প্রথম পরিচিত হয় ১৯৮৩ সালে এবং ১৯৯২ সালে প্রথম মোবাইল ফোন বাজারে আসে। ১৯৮০ সালের আগে ওয়ান-ব্যান্ড রেডিও ব্যতীত অধিকাংশ ইলেকট্রনিক পণ্য আমদানি করা হত। তবে ১৯৮০ সালের পরে অনেক কারখানা রেডিও, টেলিভিশন, অডিও-ভিডিও রেকর্ডার ও প্লেয়ার এর বিভিন্ন অংশ জোড়া দেয়ার প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠে।\n১৯৯০ সালে উন্নত পণ্য যেমনঃ কম্পিউটার, তারবিহীন টেলিফোন, স্যাটেলাইট টিভি সিগন্যাল গ্রহণকারী সরঞ্জাম ইত্যাদি পণ্য দেশেই বিভিন্ন অংশ জোড়া দেয়া শুরু হয় এবং কিছু খুচরা যন্ত্রাংশ দেশেই উৎপাদন শুরু হয়। এই সময়ের মাঝে বেশ কিছু বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান দেশেই অনেক পন্যের বিভিন্ন অংশ জোড়া দেয়া ও উৎপাদনের কাজ শুরু করে। এতে অনেক স্থানীয় প্রতিষ্ঠান এসব বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগ দিয়ে সমন্বিত হয়ে কাজ শুরু করে। বর্তমানে এই ধরনের প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ষাটের অধিক। একবিংশ শতাব্দীর শুরু থেকে কিছু দেশি প্রতিষ্ঠান দেশে তৈরি বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক পণ্য রফতানি করে আসছে। এদের মাঝে ওয়ালটন অন্যতম।",
"ভারতীয় রেল\n১৮৫৩-৫৪ সালে বোম্বাই (অধুনা মুম্বাই) ও কলকাতার নিকটে 'পরীক্ষামূলক' দুটি লাইন স্থাপন ও পরিচালনার উদ্দেশ্যে গ্রেট ইন্ডিয়ান পেনিনসুলার রেলওয়ে (জিআইপিআর) ও ইস্ট ইন্ডিয়ান রেলওয়ে (ইআইআর) নামে দুটি কোম্পানি স্থাপন করা হয়। ১৮৫১ সালের ২২ ডিসেম্বর ভারতে প্রথম রেল চালু হয়। রুরকিতে স্থানীয় একটি খাল নির্মাণকার্যে মালপত্র আনানেওয়া করার জন্য এই ট্রেনটি চালু করা হয়েছিল। দেড় বছর বাদে, ১৮৫৩ সালের ১৬ এপ্রিল বোম্বাইয়ের বোরি বান্দর থেকে থানের মধ্যে প্রথম যাত্রীবাহী ট্রেন পরিষেবার সূচনা ঘটে। \"সাহিব\", \"সিন্ধ\" ও \"সুলতান\" নামের তিনটি লোকোমোটিভ কর্তৃক চালিত এই রেল পরিষেবা ৩৪ কিলোমিটার পথে চালু হয়েছিল।",
"দুবাই মেট্রো\n১০ টি স্টেশন নিয়ে রেড লাইনের প্রথম বিভাগটি ৯ সেপ্টেম্বর ২০০৯ সালের রাত ৯:০৯:০৯ টায় দুবাইয়ের শাসক মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মক্তুম, জনতার জন্য অনুষ্ঠানীক উদ্বোধন করেন। ১০ সেপ্টেম্বর সকাল ৬ টা (ইউটিসি ০৪:০০) দুবাইয়ের জনগন মেট্রো ব্যবস্থাটি প্রথমবার ব্যবহারের সুযোগ পায়। দুবাই মেট্রো হল আরব উপদ্বীপের প্রথম শহুরে ট্রেন ব্যবস্থা এবং আরব বিশ্বের হিসাবে দ্বিতীয় (কায়রো মেট্রোর পরে) বা তৃতীয় (যদি পৃষ্ঠভূমি, সীমিত পরিষেবা বাগদাদ মেট্রো গণনা করা হয়) হয়। ১৫ কিলোমিটার রেলপথ যোগ করার জন্য রেড লাইনের একটি বড় সম্প্রসারণ করা হয় এবং ২০১৫ সালের এপ্রিল মাসে ইবনে বতুতা থেকে এক্সপো ২০২০- এর স্থান পর্যন্ত মেট্রো রেল নির্মানের ঘোষণা করা হয়েছিল।",
"বাংলাদেশ রেলওয়ে\nবাংলাদেশে রেলওয়ের কার্যক্রম শুরু হয় ১৮৬২ সালের ১৫ নভেম্বর থেকে। সে সময় চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনা হতে কুষ্টিয়া জেলার জগতী পর্যন্ত ৫৩.১১ কিলোমিটার ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি (১,৬৭৬ মি.মি.) (ব্রডগেজ) লাইন স্থাপিত হয়। এরপর ১৮৮৫ সালের ৪ জানুয়ারি ১৪.৯৮ কিলোমিটার ৩ ফুট ৩৩⁄৮ ইঞ্চি (১,০০০ মি.মি.) (মিটারগেজ) লাইন চালু হয়। ১৮৯১ সালে, ব্রিটিশ সরকারের সহযোগীতায় তত্কালীন বেঙ্গল আসাম রেলওয়ের নির্মাণকাজ শুরু হয়, তবে তা পরবর্তীতে বেঙ্গল আসাম রেলওয়ে কোম্পানি কর্তৃক অধিগৃহীত হয়। ১৮৯৫ সালের ১ জুলাই, চট্টগ্রাম থেকে কুমিল্লা পর্যন্ত ১৪৯,৮৯ কিলোমিটার এবং লাকসাম থেকে চাঁদপুর পর্যন্ত ৫০.৮৯ কিলোমিটার মিটারগেজ লাইনের দুইটি সেকশন চালু করা হয়। উনিবিংশ শতাব্দির মাঝামাঝি এবং শেষ দিকে ইংল্যান্ডে গড়ে ওঠা রেলওয়ে কোম্পানিগুলো এই সেকশনগুলোর নির্মাণকাজের দায়িত্ব নেয়। ১৮৮৫ খ্রিস্টাব্দে জানুয়ারী মাসে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রেলপথে রেল চলাচল শুরু হয়। ১৮৮৬ খ্রিস্টাব্দে জয়দেবপুর অবধি রেলপথ সম্প্রসারণ করা হয়। ১৮৬২ খ্রিস্টাব্দের ১৫ নভেম্বর কলকাতা থেকে কুষ্টিয়া অবধি রেলপথ চালু করা হয়। সর্ব প্রথম ব্রিটিশ ভারতের ভাইসরয় লর্ড ডালহৌসি ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির পরিচালক পর্ষদের কাছে ভারতবর্ষে রেলওয়ে স্থাপনের জন্য প্রস্তাব পেশ করেন। পরে ১৮৫৩ সালের ১৬ এপ্রিল গেট ইন্ডিয়ার পেনিনসুলার রেলওয়ে নামক কোম্পানি কর্তৃক নির্মিত মুম্বাই থেকে আনা পর্যন্ত ৩৩ কিলোমিটার দীর্ঘ রেল লাইনটির উদ্বোধন করা হয়। এটিই ছিল ব্রিটিশ ভারতের রেলওয়ের প্রথম যাত্রা। বাংলার প্রথম রেলপথ চালু হয় ১৮৫৪ সালে পশ্চিম বঙ্গের হাওড়া থেকে হুগলি পর্যন্ত ৩৮ কিলোমিটার রেলপথের উদ্বোধনের মাধ্যমে। ১৮৭৪ সাল থেকে ১৮৭৯ সালের মধ্যে নর্থ বেঙ্গল স্টেট রেলওয়ে নামে ব্রিটিশ সরকার একটি নতুন ২৫০ কিলোমিটার দীর্ঘ মিটারগেজ রেললাইন স্থাপন করে। লাইনটি পদ্মার বাম তীর ঘেঁষে সারা(হার্ডিঞ্জ ব্রিজ) থেকে চিলাহাটি হয়ে হিমালয়ের পাদদেশস্থ ভারতের শিলিগুড়ি পর্যন্ত বিস্তৃত। কলকাতা থেকে উত্তরবঙ্গ এবং আসামের মধ্যে সরাসরি যোগাযোগের জন্য পদ্মার উপরে সেতু নির্মাণ জরুরি হয়ে পড়ে। তারই প্রেক্ষাপটে ১৯১৫ সালের ৪ মার্চ দুই লেনবিশিষ্ট হার্ডিঞ্জ ব্রিজ রেল চলাচলের জন্য উদ্বোধন করা হয়। এর ফলে উত্তরবঙ্গের শিলিগুড়ি থেকে চিলাহাটি হয়ে কলকাতা ও ভারতের অন্যান্য স্থানে মালামাল সরবরাহ ও যাত্রী চলাচল গাড়ি বদল ছাড়াই সম্ভব হয়ে ওঠে। ১৯২০ সালে রেলওয়ে ব্যবস্থাপনা আরও উন্নত করার লক্ষ্যে ময়মনসিংহ থেকে জগন্নাথগঞ্জ ঘাট পর্যন্ত ইস্টার্ন বেঙ্গল রেলওয়ে দ্বারা পরিচালিত ৮৮ কিলোমিটার বেসরকারি রেললাইন রাষ্ট্রীয়করণ করা হয়। ১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট ভারত বিভক্তির পর বেঙ্গল-আসাম রেলওয়ে পাকিস্তান এবং ভারতের মধ্যে বিভক্ত হয়ে যায়। পূর্ব বাংলা তথা পূর্ব পাকিস্তান উত্তরাধিকার সূত্রে পায় ২,৬০৬.৫৯ কি.মি. রেললাইন এবং তা ইস্টার্ন বেঙ্গল রেলওয়ে (ইবিআর) নামে পরিচিত হয়। ইবিআর পায় ৫০০ কিলোমিটার ব্রডগেজ এবং ২,১০০ কিলোমিটার মিটারগেজ।বাংলাদেশ স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশের পর এদেশের রেলওয়ের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় বাংলাদেশ রেলওয়ে, যা উত্তরাধিকার সূত্রে পায় ২,৮৫৮.৭৩ কিলোমিটার রেলপথ ও ৪৬৬টি স্টেশন। ৩ জুন ১৯৮২ সাল, রেলওয়ে বোর্ড বিলুপ্ত হয়ে এর কার্যক্রম যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের রেলওয়ে বিভাগের ওপর ন্যস্ত করা হয় এবং বিভাগের সচিব ডিরেক্টর জেনারেল পদপ্রাপ্ত হন। ১২ আগস্ট ১৯৯৫ সাল, বাংলাদেশ রেলওয়ের নীতিগত পরামর্শ দানের জন্য ৯ সদস্যবিশিষ্ট বাংলাদেশ রেলওয়ে অথরিটি (BRA) গঠন করা হয় এবং এর চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেন যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী। বঙ্গবন্ধু সেতু উন্মুক্তকরণের ফলে জামতৈল থেকে ইব্রাহিমাবাদ ব্রডগেজ রেলপথের মাধ্যমে পূর্ব-পশ্চিম রেল যোগাযোগ শুরু হয় ১৯৯৮ সালের ২৩ জুন থেকে। সর্বশেষ ১৪ এপ্রিল ২০০৮ তারিখে মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেন চালুর ফলে ঢাকা এবং কলকাতার মধ্যে সরাসরি রেল যোগাযোগ প্রতিষ্ঠিত হয়।"
] | 37 |