summary
stringlengths
1
29.6k
genre
stringclasses
7 values
Label
int64
0
6
‘মানুষের কাহিনী’ বইটি লেখক সৈয়দ নাজমুল আবদাল এর লেখা একটি শিশু কিশোর বই । আমাদের দেশের সাহিত্য তার নিজের গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে । সাহিত্য এগিয়ে যাচ্ছে , যেদিকে লেখকেরা ও সাহিত্যিকেরা এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে । তবে দুঃখের বিষয় যে কিশোর সাহিত্য এর তেমন কোন অগ্রগতি নেই আমাদের দেশে । সাহিত্যের এ অংশে কেমন একটি শুন্যতা কাজ করে । কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে যে আমাদের দেশের প্রেক্ষিতে শিশু কিশোরদের জন্য সুষ্ঠ সুন্দর সাহিত্যের প্রয়োজনীয়তা অনেক বেশী । সাহিত্য কে শুধুমাত্র গল্প বা কবিতা বা উপন্যাস হিসেবে দেখলেই চলে না । সাহিত্য এর মাঝে অনেক কিছু বিদ্যমান আছে । সুষ্ঠু সুন্দর সাহিত্য যেমন একটি সমাজ কে নিয়ে যেতে পারে সভ্যতার উপরের লেভেলে , তেমনি অসুস্থ্য ও ফালতু সাহিত্য একটি সমাজ কে নৈতিক অধঃপতনের নিম্নস্তরে নিয়ে যেতে পারে । সাহিত্য জিনিসটি শিশুদের জন্য একটি অন্যতম দরকারী জিনিস । কারন বর্তমানে আমাদের দেশের যুবসমাজ কেমন যে অধঃপতনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে । আজকের কিশোর আগামীর যুবক , কিশোর বয়সের সকল কিছুই মুলত যৌবনে তার নিয়ন্ত্রন করে । সুষ্টু পরিবেশে বেড়ে ওঠা একটি কিশোর যৌবনে তার জীবনে ভালো কিছু করতে পারে বা ভালো চিন্তা করতে পারে । এই কিশোর দের জন্যই লেখক সৈয়দ নাজমুল আবদাল লিখে যাচ্ছেন বই , তেমনি এই বইটি একটি । বইটি প্রথম প্রকাশিত হয় ২০১৬ সালের ডিসেম্বর মাসে । বইটি প্রকাশিত হয় পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স প্রকাশনী থেকে এবং এর প্রচ্ছদ ও অলংকরন করেছেন আইয়ুব আল আমিন । জীবনযুদ্ধে বেচে থাকার জন্য মানুষ কে অনেক কাঠ খড় পোড়াতে হয়েছে । কখনো লড়াই করতে হয়েছে জঙ্গলের পশুর সাথে , আবার কখনো লড়াই করতে হয়ে প্রতিকুল পরিবেশের সাথে । সময়ের বিবর্তনে মানুষ এর মুখে এখন ভাষা এসেছে । ধীরে ধীরে গড়ে উঠেছে সভ্যতা । হাতে এসেছে হাতিয়ার । এই বইতি তে গল্পের মত সহজ ভাষায় মানুষের সেই ক্রম ইতিহাস বর্নিত হয়েছে , যা কিশোর পাঠকের জন্য উপযোগী করে লেখা । বইটি পড়লে পাঠকেরা মানুষের কাহিনী শুরু থেকে অনুধাবন করতে পারবে বলে বইটির নাম দেওয়া হয়েছে মানুষের কাহিণী । অসাধারন এ কিশোর বইটি সকলেরই ভালো লাগবে ।
Childrens-Book
2
বাঙালি মধ্যবিত্ত জীবনকে গভীররভাবে যিনি স্পর্শ করেছেন তিনি হুমায়ূন আহমেদ।জাদুকরী লেখনী দিয়ে জয় করে নিয়েছেন মানুষের মনন।একটা সাদা বাড়ি ও এর মধ্যে বসবাসকারী ছোট এক পরিবারের দৈনন্দিন জীবনযাত্রাকে কেন্দ্র করেে গড়ে উঠেছে উপন্যাসের পটভূমিকা।অর্থ মানুনুষকে বদলে দেয় এবং শুধুমাত্র অর্থনৈতিক জীবনযাত্রার বৈশ্লস্টিতেই যে মানুষের আসল রুপ বেরিয়ে আসে তার প্রমান হুমায়ূনের এই বই।জীবনকে তুলে এনেছেন অদ্ভুত এক ছন্দে।কোথাও কোথাও কয়েকটা চরিত্রকে অপ্রাসঙ্গিক মনে হলেও জীবনের মতোই তার স্বাভাবিকতা লক্ষ্য করা যায়। মধ্যবিত্ত চাওয়া পাওয়াকে কেন্দ্র করে এই উপন্যাস হয়ে ওঠে যেন বর্তমানেরই এক উপজীব্য!
Fiction
0
আর্থিক টানপোড়ানে নিঃশেষ কখনই হয়। স্বচ্ছলতার চাদর গায়ে চাপাতে কে না চায়! আর তাই রবিউল, মামুন, পাভেল, সোহেল, হিমেল সহ আরো অনেকে পাড়ি জমায় সদূর স্পেনে। ১৬ জন বাঙ্গালী প্রবাসী হওয়ার দিকে ধাবিত হয়। মালিতে ল্যান্ড করার পরই শুরু হয় অভিশপ্ত জীবন। অনাহার আর তৃষ্ণায় সাহারা মরুভূমির দিনগুলো। সারাদিন প্রখর রোদের তাপ আর রাতের তীব্র ঠাণ্ডায় কাতর হতে হত। তবুও অর্থলোলুপ দালালদের ভ্রুক্ষেপ হয় নি। কাড়ি কাড়ি টাকা হাতে নিয়েও একটা সুস্থসবল যাত্রার ব্যবস্থা করতে পারে নি। সবচেয়ে দুর্বিষহ দিন কাটে ভূমধ্যসাগরে। চারপাশে পানি থাকা স্বত্তেও খাবার পানি পায় নি। খাবার যেন স্বপ্নে পরিণত হয়েছিল। পথ হারিয়ে মাঝি,আফ্রিকানরা আর বাঙ্গালীরা দিশেহারা। ক্ষুধার জ্বালায় নিজের মাংস ছিঁড়ে খায়। এক এক ঝরে যায় ১১টি বাঙ্গালীর প্রাণ।মাঝি,আফ্রিকানও মরে। সহযাত্রী আফ্রিকানের তাজা ছিঁড়ে খেতেও দ্বিধা লাগে না কারো। যখন সকলের উদ্ধার হয় তখন অনেক প্রাণ হারিয়ে গেছে সাগর তলে। আলজেরিয়ার ওরান শহরে অদের চিকিৎসা হয়। অনেক ভালবাসায় আর সেবায় ওরা সুস্থ হয়। অবশেষে দেশে ফিরে সমাপ্ত করে এই ভয়াবহ দুঃস্বপ্নের যাত্রা...
Fiction
0
#রকমারি_পাঠক_সমাগম_বুক_রিভিউ_প্রতিযোগিতা_৩ মাসঃ আগস্ট পর্বঃ ৩ বইঃ বরফ গলা নদী লেখকঃ জহির রায়হান প্রকাশনীঃ অনুপম প্রকাশনী ৭ম সংস্করণঃ ২০১৭ প্রচ্ছদঃ ধ্রুব এষ ধরণঃ সামাজিক উপন্যাস পৃষ্ঠাঃ ৯৬ মূল্যঃ ১৪০ #লেখক_পরিচিতঃ #জহির_রায়হান বাংলাদেশী চলচ্চিত্র পরিচালক, ঔপন্যাসিক, এবং গল্পকার জহির রায়হান (১৯ আগস্ট ১৯৩৫ - ৩০ জানুয়ারি ১৯৭২) একজন প্রখ্যাত বাংলাদেশী চলচ্চিত্র পরিচালক, ঔপন্যাসিক, এবং গল্পকার। বাংলা সাহিত্যের গল্প শাখায় অবদানের জন্য তিনি ১৯৭২ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন। চলচ্চিত্রে অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে ১৯৭৭ সালে মরণোত্তর বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা একুশে পদক এবং সাহিত্যে অবদানের জন্য ১৯৯২ সালে মরণোত্তর বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত করে। চলচ্চিত্রে তার সামগ্রিক অবদানের জন্য ১৯৭৫ সালে ১ম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে তাকে মরণোত্তর বিশেষ পুরস্কার প্রদান করা হয়। “বরফ গলা নদী” তাঁর রচিত চতুর্থ উপন্যাস। এটি প্রকাশিত হয় ১৯৬৯ সালে। তার রচিত প্রথম উপন্যাস শেষ বিকেলের মেয়ে ১৯৬০ সালে প্রকাশিত হয়। তার রচিত অন্যান্য উল্লেখযোগ্য উপন্যাস হল হাজার বছর ধরে ও আরেক ফাল্গুন। হাজার বছর ধরে উপন্যাসের জন্য ১৯৬৪ সালে আদমজী সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন। তার নির্মিত প্রথম চলচ্চিত্র কখনো আসেনি (১৯৬১)। ১৯৬৪ সালে কাঁচের দেয়াল চলচ্চিত্রের জন্য তিনি নিগার পুরস্কার লাভ করেন। তার নির্মিত অন্যান্য চলচ্চিত্রগুলো হল বেহুলা, সংগম, আনোয়ারা এবং জীবন থেকে নেওয়া। স্টপ জেনোসাইড প্রামাণ্যচিত্রে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরে প্রশংসিত হন। #পাঠ_সংক্ষেপঃ চারপাশে নোংরা আবর্জনা ছড়ানো। কলার খোসা, মাছের আমিষ, মরা ইঁদুর, বাচ্চা ছেলেমেয়েদের পায়খানা- সব মিলেমিশে একাকার হয়ে থাকলেও একাকার হতে পারেনি গলিতে বাস করা মানুষ গুলো। মরিয়ম জাহেদকে ভালোবেসেছিল। একসময় খুব বিরক্তিকর মনসুরকেও ভালোবেসে ফেলে মরিয়ম। দুজনকে কি সমানভাবেই ভালোবেসেছিল, নাকি প্রথম প্রেম বলে সত্যিই কিছু আছে? বারবার মনসুরের সেই প্রশ্নটি মাথায় ঘুরছে, একজন মানুষ কি কখনো দুইজনকে প্রেম দিতে পারে? মরিয়মের মৃত্যুর পর মনসুর কি তার ভুল বুঝতে পেরেছিল? নাকি মনসুরের কোনো ভুলই ছিলো না। সবার কাছে কাঠখোট্টা প্রকৃতির মানুষ মাহমুদ। বন্ধু শাহাদাতের বিদায়ে সেই পাথর মনের মাহমুদকেও দীর্ঘশ্বাস ফেলতে দেখা যায়। চঞ্চল হাসিনা আর তসলিমের মাঝে যে প্রেম চলছিল, তা হাসিনার মৃত্যুতে থেমে যায়নি। প্রকৃতি শূন্যস্থান পছন্দ করে না বলেই হয়তো তসলিম অন্য কাউকে বেছে নিয়েছে। দোকানী খোদাবক্স সবসময় খদ্দেরদের জন্য শুভকামনা করে। অবশ্য তাতে আর সুপ্ত স্বার্থ আছে, খদ্দেরদের চাকরি হলে যে বাকি টাকা গুলো পাবার সম্ভাবনা আছে। রফিক, নঈম এখন আর আড্ডা দেয়ার সময় পায় না। সবাই যে যার মতো কাজে ব্যস্ত। সালেহা বিবি আর হাসমত আলী ব্যর্থ মা বাবা। বাসস্থান যে কোনো সময় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হতে পারে জেনেও তারা পারেনি ছেলেমেয়ে নিয়ে অন্য কোথাও সরে যেতে। তবু তারা দু'চোখে নতুন ভোর, নতুন স্বপ্ন নিয়েই ঘুমাতে গিয়েছিল। ঘুমের মধ্যেই সবাই চলে গেছে নতুন দেশে, যেখান থেকে আর ফিরে আসা সম্ভব নয়। মাহমুদ সেই ভয়ংকর রাতের স্মৃতি কখনওই ভুলতে পারবে, যে রাতে ধ্বংস হয়ে গেছে তার গোটা পরিবার। তবু লিলি আর মাহমুদ তাদের জীবন গুছিয়ে নিয়েছে। মাত্র পাঁচ বছর সময় অথচ পরিবর্তন কত টা বিশাল। তসলিমের তোলা পারিবারিক ফটোটা দেখে মাহমুদের গলা জড়িয়ে ধরে ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠে লিলি। সান্ত্বনা দিয়ে মাহমুদ বললো- " জীবনটা কি কারো অপেক্ষায় বসে থাকে? আমাদের ও যে একদিন মরতে হবে। তখনো পৃথিবী এমনি চলবে। তার চলা বন্ধ হবেনা কোনোদিন। যে শক্তি জীবনকে চালিয়ে নিয়ে চলেছে, তার কি কোনো শেষ আছে লিলি? #প্রিয়_উক্তিঃ "মা, রোজ পাঁঁচ বেলা যার কাছে মাথা ঠোকো, তাকে ভুলেও কি একবার জিজ্ঞেস করতে পারো না, এত সাধ-আহ্লাদ দিয়ে যদি গড়েছেন তোমাদের, সেগুলো পূরণ করার সামর্থ্য কেন দেননি?" #পাঠ_প্রতিক্রিয়াঃ জীবনের বাইরেও যে জীবন আছে, শুধু খেয়ে পরে বাঁচতে চাওয়াও যে কারো স্বপ্ন হতে পারে তা বইটি পড়লেই জানা যায়। বইটি পড়ে মনে হলো জীবন বড়লোকের কাছে বিলাসিতা, আর অন্যদের কাছে হয়তো বরফ গলা নদী,,, রিভিউ লিখেছেনঃ শামীমা শাম্মী
Fiction
0
মিসির আলি মানেই রহস্য! রহস্যময় একটি গল্পের সমাধান করবেন স্বয়ং মিসির আলি। এমনটাই ধারণা মিসির আলি পাঠকদের। এই গল্পটিতেও তার ব্যতিক্রম নয় নি! বরাবরের মতই এক অজানা রহস্য উকি দিচ্ছে মিসির আলির ছোট্ট জানালায় আর সেই রহস্যের সমাধান খুঁজতে অবিরাম পরিশ্রম করে যাচ্ছেন মিসির আলি। তবে ইন্টারেস্টিং কথা হচ্ছে, মিসির আলির রহস্য খুঁজে পাওয়ার দিক গুলো! প্রতিটি গল্পে হুমায়ুন আহমেদ নতুন নতুন পন্থায় রহস্য নিয়ে আসেন গল্পের মাঝে। এই গল্পে কিভাবে আনলেন? পন্থাটা কি? আসুন! দেখে আসি। মাছি ভনভন করছে মিসির আলির সামনে। রাজ্যের বিরক্তি তার মাথায়। নিজেকে মনে হচ্ছে কাঁঠাল! তার উপর আবার সামনে এক অচেনা মেয়ে বসে গল্প শোনাচ্ছে! মিসির আলির বিরক্ত লাগলেও চুপচাপ কোনো রকমে শুনে যেতে লাগলেন। মেয়েটি থাকতে চাইলেন এবং মিসির আলিও অনুমতি দিলেন। কিন্তু খানিক বাদেই তাকে চলে যেতে বললেন মিসির আলি। যাওয়ার সময় তার সাথে আনা ব্যাগ, জিনিসপত্র রেখে গেলেন। দশদিন পর‌ও যখন মেয়েটির দেখা নেই তখন মেয়েটির ফোন নাম্বার লেখা কাগজ হাতে নিলেন এবং যা দেখলেন তাতে আশ্চর্য না হয়ে পারলেন না! কিন্তু কি লিখা ছিল এই কাগজে? ব্যাগ থেকে পেলেন এক চিঠি! পড়তে শুরু করলেন মিসির আলি। হারিয়ে যেতে থাকলেন চিঠির পাতার প্রতিটি অক্ষরে! ঠিক কি লিখা সেই লম্বা চিঠিতে? যা পড়ে মিসির আলি সাহেব এতটা চিন্তিত হয়ে পড়লেন!ব‌ইটি পড়ে অসম্ভব ভালো লেগেছে। গল্পের মধ্যে একঘেয়েমি লাগার কোনো কারণ নেই। গল্পের মাঝে মাঝে লেখক এমন সব মজার কিছু কান্ড ঘটালেন যা পাঠকের একঘেয়েমি কাটিয়ে সামনে যাওয়ার প্রেরণা যোগায়! আর সবচেয়ে আশ্চর্যজনক চরিত্র হচ্ছে, "শরীফা"। এই কাজের মেয়েটির মাধ্যমেই হয়তো মিসির আলি চেষ্টা করছে রহস্যের সমাধান খুঁজতে! গল্পের শেষে কিছু ইন্টারেস্টিং চরিত্র আসতে পারে! এই গল্পের ফাকে লেখক অনেক মূল্যবান কিছু পাঠকের সামনে তুলে ধরেছেন যা সত্যিই মহা মূল্যবান! অনেক কিছু শেখার আছে এই গল্প থেকে! আমি অনেক কিছু শিখতে চেষ্টা করেছি এই গল্প থেকে! তাহলে আর দেরী না করে গল্পের গাঢ় রহস্যের সমাধান খুঁজতে শুরু করুন! আর জানতে চেষ্টা করুন সেই বিখ্যাত চরিত্র মিসির আলি সাহেবের রহস্য উন্মোচন করার প্রক্রিয়া, যিনি বারবার তাঁর সামর্থ্যের পরিচয় দিয়ে যাচ্ছেন বিভিন্ন জটিল সমস্যা সমাধান করার মাধ্যমে।মেয়েটির আসল নাম জানা গেল বেশ অদ্ভুত এক কায়দায়! ছোট বেলায় মা মারা গেছেন বাবার গাড়ি চালানো অবস্থায়। বাবা আরেকটা বিয়ে করলেন। তিনিও মারা গেলেন! একাকী জীবন কাটাতে লাগলো ছোট্ট মেয়েটি। ছোট মা মারা গেছে বহু আগেই কিন্তু সে ছোট মার সাথে দিব্যি গল্প করে! কিভাবে সম্ভব? আদৌ সম্ভব? নাকি সব চশমা পড়া দুনিয়ার গোলক ধাধা? ছোট মা কি মারা গিয়েছিল? বাড়িতে আসল ছোট একটি কাজের মেয়ে "শরিফা"। বয়স সবে মাত্র তের! গল্প করে মেয়েটির সঙ্গে। শরিফাকে বিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং তাকে তুলে নেবে আগামী বুধবার। কিন্তু তুলে নেওয়ার আগের দিন শরিফার আকস্মিক মৃত্যুতে দিশেহারা পরিবার! এই শরীফার কারণেই পরিবারের নতুন সদস্য নীতু আন্টি অস্বাভাবিক অর্থাৎ পাগল হয়ে গেল! কিন্তু কিভাবে? শরীফা তো মরেই গেছে! তাহলে নীতু কেন পাগল হল? রহস্যটা কোথায়? মেয়েটির মা কি আসলেই মারা গিয়েছিল? নাকি সব মিসির আলিকে বোকা বানানোর কৌশল? সকল রহস্যের সমাধান দেবে মিসির আলি সাহেব।
Thriller
1
‘হিরের আংটি’ আমার পড়া শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের প্রথম কিশোর উপন্যাস। এর আগে লেখকের লেখা বিভিন্ন উপন্যাস পড়লেও কোন কিশোর উপন্যাস পড়া হয় নি। এখন বেশ আফসোস হচ্ছে, এত অসাধারণ লেখা আগে কেন পড়লাম না তা ভেবে। ‘হিরের আংটি’ উপন্যাসের শুরুতেই দেখানো হয়, এক গ্রীষ্মের দুপুরে ষষ্ঠী নামের এক চোর কী চুরি করা যায় সে মতলব আঁটতে থাকে। এমন সময় সে এক ছেলের দেখা পায়। ছেলেটি পাড়ায় নতুন। তবে ষষ্ঠী ছেলেটির বেশভূষা দেখে বেশ হতাশ হয়। কারণ, তাকে দেখে মনে হচ্ছিলো না যে তার কাছে দামি কিছু থাকতে পারে। কিন্তু হঠাৎ ছেলেটির আঙুলের দিকে চোখ যেতেই ষষ্ঠী চমকে উঠে। ষষ্ঠীর অভিজ্ঞ চোখের বুঝতে কোন অসুবিধা হয় না, ছেলেটির হাতে থাকা আংটিটি খাঁটি সোনার এবং সেখানে যে পাথর বসানো তা হিরেও হতে পারে। সেই থেকে শুরু হল মূল কাহিনী, হিরের আংটি নিয়ে ইঁদুর-দৌড়। ষষ্ঠী ছেলেটির কাছে থেকে আংটিটি নেয়ার ফন্দি আঁটতে থাকে। আর ওদিকে দেখা যায়, ছেলেটি তার প্রয়াত দাদার কথা অনুযায়ী এই গ্রামে এসেছে রতন বাঁড়ুজ্যের কাছে। কিন্তু রাশভারী মানুষ রতন বাঁড়ুজ্যে ছেলেটিকে দেখে কেমন যেন থতমত খেয়ে যায়। তারপর ধীরে ধীরে বেরিয়ে আসতে থাকে অনেক পুরনো কাহিনী। দেখা যায়, ছেলেটির দাদার কাছে রতন বাঁড়ুজ্যে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ যে ছেলেটি আসলে তাকে তার সব কিছু দিয়ে দিতে হবে। কারণ, তার এ সকল সম্পদ আসলে ছেলেটির দাদার। বিপদে পড়ে তার কাছে দেয়া হয়েছে গচ্ছিত রাখার জন্যে। আরও জানা যায়, রতন বাঁড়ুজ্যের কাছেও ছেলেটির আঙুলের আংটিটির মত একটি হিরের আংটি আছে। এবং এই আংটি দুটি মন্দিরের সিংহাসনের নিচের মাটি খুঁড়ে পাওয়া গুপ্তধন। এই আংটি দুটির ব্যাপারে আরেকটি মজার তথ্য হল, এই আংটি দুটি বৈশাখী অমাবস্যার রাত ছাড়া অন্য কোন সময় যদি সেই রহস্যময় ছেলেটির বংশের বাহিরের কেউ দেখে তাহলে সে অন্ধ হয়ে যাবে। এদিকে সেই রাতটি ছিল বৈশাখী অমাবস্যার রাত। আর সে রাতে একের পর এক ঘটনা ঘটতে থাকে। ষষ্ঠী প্রথমে জানালার গ্রিল কেটে সে আংটি ছেলেটির কাছে থেকে চুরি করে কালী স্যাকরার কাছে দেয়। কিন্তু কালী স্যাকরাও আংটিটি নিজের কাছে রাখতে পারে না। তার দোকান থেকে ডাকাতি হয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত এই আংটিটি কে পাবে? রতন বাঁড়ুজ্যের সম্পত্তিরই বা কী হবে? এসব জানতে হলে পাঠককে এই অসাধারণ উপন্যাসটি পড়তে হবে। শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের লেখার সবচেয়ে শক্তিশালী দিক হল তাঁর অসাধারণ সাবলীল বর্ণনাভঙ্গি যা খুব সহজেই পাঠককে উপন্যাসের কাহিনীর সাথে একাত্ম হতে সাহায্য করে। ‘হিরের আংটি’ উপন্যাসটির কাহিনী খুবই দ্রুতগতির এবং অসাধারণ রোমাঞ্চে ভরপুর। তাই এই উপন্যাসটি পড়ার সময় পাঠক প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ করবেন বলেই আমার বিশ্বাস। কিশোরদের জন্যে লেখা হলেও এই উপন্যাসটি সব বয়সের অ্যাডভেঞ্চার-প্রিয় পাঠকদের ভালো লাগবে বলেই আমার ধারণা।
Childrens-Book
2
১.দিবানিশি। দিবানিশি,লেখক আবদুল্লাহ আল ইমরানের তৃতীয় উপন্যাস।লেখকের ২য় উপন্যাস কালচক্র গত বইমেলায় বেশ সাড়া ফেলে।বোদ্ধামহলেও বেশ আলোচিত হয় তার লেখা কালচক্র উপন্যাসটি।জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন তার জন্মদিনে প্রথম আলোকে দেওয়া বিশেষ সাক্ষাতকারে তরুণদের লেখকদের লেখা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে কালচক্রের কথা বলেছেন। ২.২০১৭ বইমেলায় অন্বেষা থেকে প্রকাশিত হয় দিবানিশি উপন্যাসটি।যেখানে বিস্তৃত হয়েছে বাংলার প্রত্যন্ত এক জনপদের দিনরাতের গল্প।বিস্তৃত হয়েছে সহজিয়া জীবনদর্শনে মারফতি নূরে উদ্ভাসিত অলক্ষে বহমান জনপদের কাহিনি।আছে শিকড়ে ফিরতে চাওয়া ও জলের গর্ভে সব হারানো দুই নারীর অদম্য লড়াই।এ গল্প মনসা দেবীর অভিশাপের লোকজ মিথেরও। ৩.দিবানিশি উপন্যাসে অনেকগুলো চরিত্র।একটি চরিত্রকে কেন্দ্র করে নয় বরং যেখানে প্রায় সব চরিত্রই হয়ে উঠেছে মূখ্য।অনেকগুলো চরিত্রকে কেন্দ্র করে অনেকগুলো গল্প।কিন্তু সব গল্পই একই সুতায় গাঁথা। ৪.গল্পটা নদী তীরবর্তী এক গ্রামের। গ্রামের নাম চানপুরা।নদীর নাম সুগন্ধা। নদী ভাঙন,মনসা দেবীর লোকজ মিথ,মারফতি সহজিয়া জীবনদর্শন,ধর্মীয় অনুভূতি,ভিলেজ পলিটিক্স, গ্রাম্য যুবক যুবতির প্রেম।এক নারীর শিকড়ে ফিরা ও অদম্য এক নারীর গল্প।এরকম অসংখ্য বিষয় উপন্যাসের পাতায় পাতায়। আছে বেশকিছু রহস্য।সব মিলিয়ে এ এক জীবনঘনিষ্ঠ উপন্যাস। ৫.চরিত্র: আশ্বাব তালুকদার -লোভ লালসায় পড়ে বিপন্ন জীবনের গল্প তার পরিবারকে ঘিরে। রাবেয়া খাতুন:জলের গর্ভে সব হারানো এক অদম্য নারীর লড়াই।টিকে থাকার প্রাণান্ত চেষ্টায় সদা ব্যাকুল এক নারী। আজগর :ধুরন্ধর মুখোশপড়া এক মানুষ। খবিরউদ্দিন ফকির:মেহেরউদ্দিন ফকিরের দর্শনে ছড়িয়ে যাচ্ছেন ফকিরি ধ্যান-ধারণা,দর্শন চিন্তা।পুরো পরিবারই যেন একটি বিস্তৃত গল্পের ডালা। মায়মুনা:শিকড়ে ফেরার এক অসাধারণ গল্প।বঞ্চিত হয়েছেন জীবনের অনেকটা সময়।হেটেছেন অনেকটা পথ একলা অভিমানে। শাহজালাল,নূরী,আফজাল মুন্সী, অম্বরী বেগম,চেয়ারম্যান, মতলেব,সোহেল,আঙুরীসহ আরও অনেক চরিত্র। ৬.উপন্যাসে ইভটিজিংয়ের মতো একটা বিষয় উঠে এসেছে, যা খুব ভালো লেগেছে।আমি এমনটাই চাচ্ছিলাম কোনো একটা বইয়ে!কোনো একটা উপন্যাসে এই বিষয়টা উঠে আসুক।হয়তোবা উঠেও এসেছে যা আমার দৃষ্টিগোচড় হয় নি।এই উপন্যাসে এই বিষয়টা আছে দেখে ভালো লেগেছে। ৭.হিন্দুদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতসহ তাদের বেশকিছু বিষয়কে কেন্দ্র করে গ্রাম্য রাজনীতি। সমসাময়িক সময়ে আমরা পত্রিকার পাতায় প্রায়ই দেখি হিন্দুদের মন্দিরে ভাংচুর, হামলা।এই বিষয়টা বিস্তৃত হয়েছে দিবানিশি উপন্যাসে। ৮.লেখক আবদুল্লাহ আল ইমরান তার লেখায় এমন এক গল্প বলেন,যে গল্পে উঠে আসে এমন এক জনপদের গল্প, যাতে স্বাদ পাওয়া যায় শিকড়ের।গল্পে উপজীব্য হয় বেশকিছু অনুভূতির। ৯.লেখকের জন্য শুভকামনা বারবার যেন ফিরে আসেন মানুষের গল্প নিয়ে।জগতের গল্প নিয়ে,জনপদের গল্প নিয়ে,অনুভূতির গল্প নিয়ে।
Fiction
0
""তা ছাড়া মেয়েটি যে ঘরের দরজায় দাঁড়িয়ে অর্ধপ্রকাশিত হয়ে আছে, মাঝেমধ্যে ওর দিকে তাকানোর মধ্যে একধরনের সুখ আছে। ... "" সুখ তো থাকবেই লুচ্চামির সুখ , শয়তানের সুখ । আপনার বিবাহিত কিংবা অবিবাহিত বোনের বা নব্য বিবাহিতা মায়ের দিকে যখন কেউ এই ভাবে তাকাবে তখন তো সুখ পাবেই এটাই তো শয়তানের সুখ ।
Fiction
0
বইয়ের নামঃ লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে। লেখকঃ রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম। পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ ৪৬৩ প্রচ্ছদ শিল্পীঃ দেবদাস চক্রবর্তী। প্রকাশকঃ মনিরুল হক, অনন্যা। আমরা অনেকেই আছি যারা বিদেশী যুদ্ধের কাহিনী পড়তে বা চলচিত্রে দেখতে পছন্দ করি। অনেকে আবার নিজেকে সেই যুদ্ধের সাথে একাত্ম করে তুলি- নিজেকে কাহিনীর চরিত্রগুলোর একজন হিসেবে কল্পনা করে। কিন্তু আমাদের মুক্তিযুদ্ধও যে সেই চিত্রনাট্যের চেয়ে কোনও অংশে কম না সে কথা কি আমরা কি জানি? কত যে সাহসিকতা, আত্মত্যাগ, আর নাটকীয় পট পরিবর্তনের মাধ্যমে আমাদের এই স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে, তা আজও আমাদের কাছে অজানাই রয়ে গেছে। তথাপি আমাদের মুক্তিযুদ্ধ কোনও কল্পকাহিনী নয়, বরং চিরন্তন সত্য ও বাস্তব। মুক্তিযুদ্ধের এই স্বরূপ তুলে ধরার জন্যই ‘লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে’ বইটি রচিত। গ্রন্থকার রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম সেনা বাহিনীর অফিসারদের মধ্যে প্রথম ব্যক্তি যিনি ১৯৭১ এর ২৫ মার্চ রাত ০৮:৪০ মিনিটে তাঁর অধীনস্থ ইপিআর সৈন্যদের নিয়ে চট্টগ্রামে পশ্চিম পাকিস্তানী সৈন্যদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। এবং তিনি তা করেছিলেন তাঁর সিনিয়র বাঙালি অফিসারদের কোনও রকম নির্দেশ ও সহযোগিতা ছাড়াই। তাঁর এই সাহসী পদক্ষেপের কারণেই মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এলাকা চট্টগ্রাম শহর কিছুদিন পাক হানাদারদের দখলমুক্ত ছিল। এছাড়াও তিনি মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রথমে কিছুদিন ১ নং সেক্টরের সাব-সেক্টর কমান্ডার এবং পরে ১ নং সেক্টর কমান্ডার হিসেবে বীরত্বের সাথে যুদ্ধ করেছেন। তাই নতুন প্রজন্মের কাছে এবং যারা সশরীরে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করতে পারেননি, তাদের কাছে সম্মুখ সমরের ঘটনাবলী তুলে ধরার জন্য তাঁর মত একজন প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনার গুরুত্ব অনেক। বিরুদ্ধ স্রোতে দাঁড়িয়ে বিদ্রোহ করার মত প্রশিক্ষিত জনবল এবং সমরাস্ত্র- কোনটিই বাঙালির পর্যাপ্ত পরিমাণে ছিল না। এর প্রভাবও পড়েছে মুক্তিযুদ্ধের উপরে। এছাড়াও রাজনৈতিক ও সেনাবাহিনীর নেতৃত্বস্থানীয় কর্তাব্যক্তিদের দ্বিধা-দ্বন্দ্বের কারণে কোনরূপ পূর্ব প্রস্তুতি ছাড়াই যুদ্ধ শুরু হয়। এসকল ঘটনা মুক্তিযুদ্ধের জন্য একদমই অনুকূল ছিল না। একটা উদাহরন দেওয়া যাক। পশ্চিমাদের এদেশে প্রবেশের একমাত্র পথ হওয়ায় বন্দর নগরী চট্টগ্রামের গুরুত্ব ছিল অপরিসীম। লেখক নিজে যখন চট্টগ্রামে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন এবং শহরের দখল নেন, তখন তিনি বিভিন্ন ক্ষেত্রে যথাযথ মহলের সহযোগিতার অভাব বোধ করেন এবং একসময় শহরের দখল ছেড়ে দিতে বাধ্য হন। কিছু ক্ষেত্রে আবার গুটিকয়েক বাঙালির স্বার্থান্বেষী মনোভাবের জন্য অভ্যন্তরীণ কোন্দল তৈরি হয় যা মুক্তিযুদ্ধে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এভাবে একজন প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে মুক্তিযুদ্ধের গতিপ্রকৃতি পর্যবেক্ষণ এবং যুদ্ধের নৃশংসতা ও ভয়াবহতা অনুভবের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতার প্রতিফলন ঘটেছে এ বইটিতে। লেখক নিজে ১ নং সেক্টরের বীর মুক্তিযোদ্ধা হওয়ায় বইটিতে বর্ণিত বেশির ভাগ ঘটনাবলীই চট্টগ্রাম কেন্দ্রিক। বলা যায় বৃহত্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলে সংঘটিত মুক্তিসংগ্রামের একটি প্রামাণ্য দলিল এই গ্রন্থটি। অবশ্য যুদ্ধকালীন ১১তি সেক্টর সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বর্ণনা এবং বিভিন্ন সেক্টরের অধীনে সংঘটিত গুরুত্বপূর্ণ কিছু যুদ্ধের বর্ণনাও দেওয়া হয়েছে এতে। মুক্তিযুদ্ধের বিকৃত ইতিহাসের বিভ্রান্তি দূর করা এবং কিছু অপ্রিয় সত্য ঘটনা সকলের কাছে তুলে ধরার নিমিত্তে একজন অগ্রনী বীর সেনানীর এই প্রয়াস সকলের নিকট গ্রহণযোগ্য হবে বলেই আমার বিশ্বাস। মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী লক্ষ লক্ষ শহীদের স্মৃতির উদ্দেশ্যেই বইটির নামকরণ করা হয়েছে। ১৯৭৪ সালে প্রকাশিত ‘A Tale of Millions’ বইটির বাংলা সংস্করণ ‘লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে’। অসাধারণ, প্রাঞ্জলতা পরিপূর্ণ একটি গ্রন্থিত দলিল হিসেবে বইটি মূল্যায়নযোগ্য।
War
5
কে যেন একদিন বলেছিল,হুমায়ুনের নায়িকাদের প্রেমে পড়ো না,অন্য কোন মেয়েকে ভালো লাগবে না। কথাটার সত্যতা আবার প্রমাণিত হলো এ উপন্যাসে।সেই সহজাত সৌন্দর্য,খেয়ালিপনা,পাগলামী,মাতাল করা উপস্থিতি;দৃশ্যপটে যেন একজন মেঘবালিকার সন্ধান।নায়িকা মৃন্ময়ী অভিজাত ঘরের মেয়ে।নায়ক মিডিলক্লাস ফ্যামিলির,পেশায় একজন আর্টিস্ট।উল্লেখযোগ্য চরিত্রের মধ্যে আরো আছেনন মৃন্ময়ীর দাদাজান যার কাছে তার পূত্র একটা আস্ত গাধা,মৃন্ময়ীর বইপোকা বাবা যার কাছে বই পড়াটা মাদকসেবনের মতো, বান্ধবী ছন্দা যার একটা মানসিক রোগ আছে,নায়ক জহিরের বোন মীনা যার কাছে কান্না করাটা পৃথিবীর সবচেয়ে সহজ এবং গুরুত্বপূর্ণ কাজ। হুমায়ুনের আরো কিছু উপন্যাসের সাথে ( যেমন আকাশজোড়া মেঘ,তিথির নীল তোয়ালে) এর সাদৃশ্য থাকলেও কাহিনী ব্যতিক্রম। অভিজাত পরিবারের হালচাল,মধ্যবিত্তের দুঃখ,হাসি, তৃপ্তি আর হুমায়ুনের চরিত্রের চিরচেনা পাগলামী আর সাবলিল উপস্থাপনা এ উপন্যাসকে পাঠকের মনে স্থান করাবে নিঃসন্দেহে।তবে ফিনিশিংটা অনুমান করার মত না।একটু ডিফরেন্ট।জানতে হলে পড়ে ফেলুন, মৃন্ময়ীর মন ভালো নেই।আশা করি ভালো লাগবে।
Fiction
0
#রকমারি_রিভিউ_প্রতিযোগিতা_নভেম্বর_২০১৮ উপন্যাস : রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনো খেতে আসেনি লেখক:মোহাম্মদ নাজিম উদ্দীন ধরনঃ থৃলার ও আ্যাডভেন্ঞ্চার প্রকাশনঃবাতিঘর মুল্যঃ ৩০০টাকা গ্রামের নাম সুন্দরপুর, ঠিক গ্রাম বলা চলেনা আবার শহর ও না। মফস্বল এলাকার মতো।।। এই এলাকার হাইওয়ের পাশেই রয়েছে একটি হোটেল, হোটেল বললে অবশ্য ভুল হবে, একটা রেস্তোরাঁ বলা চলে। সেখানে প্রতিদিন দুরদুরান্ত থেকে ছুটে আসে শ শ মানুষ শুধুমাত্র খাবারের লোভে। সাধারনত এরকম হাইওয়ের পাশের খাবারের দোকান গুলোতে খাবারের স্বাদ হয়ে থাকে নিম্নমানের, তাহলে এমন তৃপ্তি করা খাবারের পেছনে কি অন্য কোন রহস্য লুকিয়ে আছে??? রেস্তোরাঁ টির মালিক হলো মুশকান জুবেরী, এই উপন্যাসের রহস্যময়ী নারী চরিত্র। তার সম্পর্কে কেউ তেমন কিছু জানেনা, মুশকান জুবেরীর পরিচয় এতোটুকুই যে সে ঐ মফস্বলের জমিদারের নাত বউ। কোনকিছু না জানলেও তার সম্পর্কে বিভিন্ন মানুষের ভিন্ন মতামত রয়েছে... কি সেই মতামত গুলো?? সেগুলো কি আসলেই সত্যি ছিলো?? হঠাৎ আগমন ঘটে নুরে ছফা নামক এক ব্যাক্তির। ঐ রেস্তোরাঁয় খাওয়ার পর থেকে তাকে এলাকার আাশেপাশেই দেখা যাচ্ছে।। কে এই নুরে ছফা?? আর কি ই বা তার পরিচয়?? আর কেনই বা সে এরকম আচরন করছে?? অন্যদিকে মুশকান জুবেরী, যার কাছে প্রতিনিয়ত আাসা যাওয়া করছে সমাজের সবথেকে সম্মানিত ব্যাক্তিবর্গ। সবাইকে যেন এক সুতোয় গেথে রেখেছে তিনি। কিন্তু এত বেশী মুশকানের কাছে আসার কারন টা অবৈধ কোন উদ্দেশ্য নয়তো?? নাকি এর মাঝেও কোন রহস্য লুকিয়ে আছে?? এই উপন্যাসে আরও ২ টি রহস্যময় চরিত্র হলো গোর খোদক ফালু এবং ইনফর্মার আতর। আতর কে সবাই বিবিসি বলেই ডাকে। কিন্তু কোথা থেকে সংগ্রহ করে আতর এই তথ্যগুলো?? কি ই বা করে তথ্য দিয়ে?? অন্যদিকে গোর খোদক ফালু কিভাবে অগ্রীম কবর খুড়ে রাখে?? সে কিভাবে বোঝে গ্রামে কারো অন্তীম যাত্রার বিষয় টা?? নাকি অন্য কোন উদ্দেশ্য তার মধ্যে বিদ্যমান রয়েছে?? পাঠ্য প্রতিক্রিয়াঃ বইটি পুড়োটাই টুইস্টে পরিপূর্ণ ছিলো। আমাদের দেশের লেখক রাও এখন তাদের লেখায় কত টুকু উন্নতি আনতে পেরেছে সেটা বোঝার জন্য উপন্যাস টা কে আমি বলবো মাস্টারপিস। তাই উপরের সব উত্তর বের করার জন্য পড়ে ফেলুন এই উপন্যাস টি।
Thriller
1
#রকমারি_রিভিউ_প্রতিযোগ_ডিসেম্বর . বই আলোচনা ৭ . বই : আমার বন্ধু রাশেদ লেখক : মুহাম্মদ জাফর ইকবাল জনরা : মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক উপন্যাস প্রকাশনী: কাকলী প্রকাশনী পৃষ্ঠা সংখ্যা :১১২ মুদ্রিত মূল্য :১৭৫ টাকা। ব্যক্তিগত রেটিং : ৪.৯/৫ অনলাইন পরিবেশক :রকমারি.কম . লেখক পরিচিতি : জনপ্রিয় লেখক জাফর ইকবাল ১৯৫২ সালের ২৩ ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম ফয়জুর রহমান আহমদ আর মায়ের নাম আয়েশা আখতার খাতুন। উনার ছোটবেলা কেটেছে বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায়। পূর্বে তার নাম ছিল বাবুল।জাফর ইকবাল খুব অল্প বয়স থেকেই লিখতে শুরু করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি বাংলাদেশের অত্যন্ত জনপ্রিয় ঔপন্যাসিক হুমায়ূন আহমেদ এবং সাহিত্যিক আহসান হাবীবের ভাই। জাফর ইকবালের মেয়ে ইয়েশিম ইকবাল তার এই"আমার বন্ধু রাশেদ" বইটি ইংরেজিতে অনুবাদ করে নাম দিয়েছে Rashed, my friend. . বইটি সম্পর্কে লেখকের কিছু কথা : আমার বন্ধু রাশেদ বইটি যখন লিখি, তখন আমি আমেরিকায়, দেশে আসব আসব করছি। দীর্ঘদিন থেকে সেই দেশে পড়ে আছি, প্রায় ১৮ বছর, কিন্তু লেখালেখি হয়েছে খুব কম। তার কারণও আছে। আমি এক রকম পাণ্ডুলিপি পাঠাই, অন্য রকম বই হিসেবে বের হয়ে আসে। একবার একটা বই ছাপা হয়ে এল, দেখে আমার আক্কেল গুড়ুম! আমার লেখার পুরো স্টাইল পাল্টে দেওয়া হয়েছে। পড়ে মনে হয় আমি লিখিনি, অন্য কেউ লিখেছে। দেশে প্রকাশককে ফোন করে কারণ জানতে চাইলাম। তিনি লেখালেখির সঠিক পদ্ধতি সম্পর্কে আমাকে জ্ঞান দিয়ে বিশাল একটা চিঠি লিখলেন। অনেক কষ্ট করে পরে আমি অন্য একজন প্রকাশক দিয়ে আমার স্বল্পজ্ঞানের বইটি আমার মতো করে লেখা হিসেবে বের করতে পেরেছিলাম। এর মধ্যে একদিন নিউইয়র্কে শহীদজননী জাহানারা ইমামের সঙ্গে দেখা হলো। তিনি তখন যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের আন্দোলন করে আমাদের সবার প্রিয় একজন মানুষ। আমি একদিন খুব কুণ্ঠিতভাবে হুমায়ূন আহমেদের ভাই হিসেবে পরিচিত হতে গেলাম। দেখি, তিনি আমার যৎসামান্য লেখা দিয়েই আমাকে আলাদাভাবে চেনেন। শুধু তা-ই না, শহীদজননী আমার লেখালেখি নিয়ে খুব দয়ার্দ্র কিছু কথা বললেন। তখন হঠাৎ করে আমার আবার লেখালেখির জন্য একটা উৎসাহ হলো—এক ধাক্কায় দুই দুইটা বই লিখে ফেললাম। তার একটি হচ্ছে আমার বন্ধু রাশেদ। এটা মুক্তিযুদ্ধের ওপর ভিত্তি করে লেখা একটা কিশোর উপন্যাস। এটা লেখার সময় আমি চেষ্টা করেছি সেই সময়ের ধারাবাহিকতাটুকু রাখতে। মুক্তিযুদ্ধের সময় সাধারণ মানুষ কিসের ভেতর দিয়ে গেছে, সেই ধারণাটাও একটু দিতে চেষ্টা করেছি। এমনিতে আমার কিশোর উপন্যাসের একটা ফর্মুলা আছে, সব সময়ই সেখানে একটা অ্যাডভেঞ্চার থাকে। আর তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে আমি আমার ছোট ছোট পাঠকের মনে কখনো কোনো কষ্ট দিই না। আমার বন্ধু রাশেদ লেখার সময় আমার মনে হলো, এই বইটি যেহেতু মুক্তিযুদ্ধের ওপর লেখা, তাই যারা এটি পড়বে, তাদের মুক্তিযুদ্ধের সেই সময়ের একটু সত্যিকারের অনুভূতি পাওয়া দরকার। আমাদের মুক্তিযুদ্ধে অচিন্তনীয় বীরত্ব আছে, আকাশছোঁয়া বিজয় আছে, আর সবচেয়ে বেশি আছে স্বজন হারানোর বুকভাঙা কষ্ট। তাই এই বইটাতে আমি খানিকটা কষ্ট ঢুকিয়ে দিয়েছি। এমনভাবে লিখেছি যেন যারা পড়ে, তারা মনে একটু কষ্ট পায়। আমি যেটুকু কষ্ট দিতে চেয়েছিলাম, মনে হয় তার থেকে বেশি দেওয়া হয়ে গেছে, সেটি আমি বুঝেছিলাম আমার ছোট মেয়েটির একটা প্রতিক্রিয়া দেখে। তখন আমি মাত্র দেশে ফিরে এসেছি। ছেলেমেয়ে দুজনেই ছোট তখনো। স্বচ্ছন্দে বাংলা পড়তে পারে না। আমাকে তাই মাঝে মাঝে আমার লেখা বই পড়ে শোনাতে হয়। একদিন আমি তাদের আমার বন্ধু রাশেদ পড়ে শোনালাম। পুরোটা শুনে আমার সাত বছরের মেয়েটি কেমন যেন অন্য রকম হয়ে গেল। চুপচাপ বসে থেকে শূন্য দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে। আমরা রাতে ঘুমিয়েছি, সে বিছানায় শুয়ে ঘুমহীন চোখে শুয়ে আছে। গভীর রাতে সে উত্তেজিত গলায় আমাকে ঘুম থেকে ডেকে তুলল। বলল, ‘আব্বু, তুমি একটা জিনিস জানো?’ আমি বললাম, ‘কী?’ সে আমাকে বলল, ‘বইয়ে লেখা আছে রাশেদকে গুলি করে মেরেছে। কিন্তু তার লাশ তো পাওয়া যায়নি!’ আমি ঠিক বুঝতে পারছিলাম না সে কী বলতে চাইছে। কিন্তু তার কথায় সায় দিয়ে বললাম, ‘না, লাশ পাওয়া যায়নি।’ আমার সাত বছরের মেয়ের মুখ আনন্দে ঝলমল করে উঠল। বলল, ‘তার মানে বুঝেছ? আসলে রাশেদের গুলি লাগেনি। সে মারা যায়নি। পানিতে পড়ে সাঁতার দিয়ে চলে গেছে।’ আমি অবাক হয়ে আমার ছোট মেয়েটির মুখের দিকে তাকিয়ে রইলাম। বললাম, ‘হ্যাঁ, তুমি ঠিকই বলেছ। রাশেদের শরীরে গুলি লাগেনি—সে মারা যায়নি। সাঁতরে সে চলে গেছে, সে বেঁচে আছে।’ আমার মেয়ের বুকের ভার নেমে গেল। তার মুখে হাসি ফুটে উঠল। গভীর একটা প্রশান্তি নিয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘুমিয়ে গেল। আমার ছোট মেয়েটির মতো আরও কত শিশুকে না জানি আমি কষ্ট দিয়েছি! সম্ভব হলে সবাইকে বলে আসতাম যে রাশেদ মারা যায়নি। রাশেদরা আসলে কখনও মারা যায় না। . কাহিনী সংক্ষেপ : মহান মুক্তিযুদ্ধে শিশু কিশোরদের অংশগ্রহনের অনবদ্য দিক ফুঁটে উঠেছে জাফর ইকবালের "আমার বন্ধু রাশেদ" উপন্যাসে। গোপনে রাশেদসহ একটি কিশোরদল মুক্তিবাহিনীকে অস্ত্র সরবরাহ করে। পাকিস্তানের ঘাঁটিতে আঘাত হানার জন্য একটি ম্যাপ এঁকে দেয় এই কিশোর দল। তাদের ছোট ছোট ছেলে ভেবে পাকিস্তানিরা তাদের সন্দেহ করে না। কিন্তু বেশিদিন তারা সেটা পারে না। একসময় ধরা পরে যায়। যুদ্ধ যখন ভয়াবহ পরিস্থিতি ধারণ করেছে, তখন সকলেই পালিয়ে যায়। পালায় না কেবল অকুতোভয় কিশোর, উপন্যাসের মূল চরিত্র রাশেদ। রাশেদ এক নির্ভীক কিশোর। তার বাবা মানুষটা কেমন যেন। ছেলের একটা ভালো নামও রাখেনি সে । রাশেদের নাম রেখেছিল লাড্ডু। লাড্ডুর স্কুলের বন্ধুরা তার নাম দেয় রাশেদ হাসান। রাশেদের বাবা ছেলের খবরাখবর রাখে না তেমন। ছেলের পড়াশুনার ব্যাপারেও সে পুরোদমে উদাসীন। বাবা হয়ে সে অল্পবয়স্ক ছেলের সাথে রাজনীতির গল্প করে। রাশেদ রাতে-দিনে মিছিলে ইয়াহিয়া খানের বিরুদ্ধে শ্লোগান দেয়। সে মুক্তিবাহিনীকে সাহায্য করে। মুক্তিবাহিনীর সাথে দারুণ সম্পর্ক গড়ে উঠে রাশেদের। রাশেদের কর্মকাণ্ড দেখে উৎসাহিত হয় তার বন্ধুরাও। উপন্যাসের আরকটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র শফিক ভাই অপারশনে গিয়ে মিলিটারিদের হাতে ধরা পড়ে। অকুতোভয় রাশেদের নেতৃত্বে তার বন্ধুরা কঠিন এক অভিযানের মাধ্যমে মুক্ত করে আনে শফিক ভাইকে। সবশেষে আজরফ আলী নামের এক রাজাকারের হাতে শহীদ হয় রাশেদ। . পাঠ প্রতিক্রিয়া: অসম্ভব সুন্দর আর মনে দাগ কাটা এই উপন্যাসের পাঠানুভূতি প্রকাশের পূর্ণ ক্ষমতা বোধহয় আমার নেই। যতক্ষণ পড়ছিলাম, যেন বুঁদ হয়েছিলাম বইটিতে। আমি ঢুকে গিয়েছিলাম বইয়ের ভিতর। নিজেকে কিছুক্ষণের জন্য রাশেদের বন্ধুমহলের একজন ভেবে নিয়েছিলাম। জাফর ইকবালের কিশোর উপন্যাসকে আমি কারও সাথে তুলনা করতে পারি না। ব্যাক্তিগত রেটিং ৪.৯/৫। . রিভিউ লেখক :তানজিনা তানিয়া
War
5
বোবা কাহিনী: উপন্যাসটি সম্পূর্ণ লোকজীবনভিত্তিক। বাংলাদেশের ফরিদপুর অঞ্চলের একটি বিশেষ এলাকার জীবনচিত্র এ উপন্যাসের উপজীব্য। এ উপন্যাসের নায়ক আজাহের এক ছিন্নমূল কৃষকসন্তান। বাল্যকাল থেকেইে লাঞ্ছনা আর বঞ্চনা তার নিত্যসঙ্গী । তবুও সে স্বপ্ন দেখে সুখী জীবনের । তাই স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে যুদ্ধ করে করে যায় বেশি ফসল ফলিয়ে সুখের নাগাল পেতে। বিভিন্ন প্রতিকূলতায় তার স্বপ্নের বাস্তবায়ন সম্ভব হয়না। নিজের জীবনের তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকে মুক্তির উপায় খুঁজতে গিয়ে সে স্বপ্ন দেখে তার পুত্র বছিরকে উপযুক্ত শিক্ষা-দীক্ষায় মানুষ করার। নানা বিপত্তি সত্ত্বেও অনেক ত্যাগ ও স্বশ্রেণীর সাহায্য ও সহায়তায় তার স্বপ্নপূরণের পথ খুলে যায়। বছিরের স্বপ্ন তার নিজের পরিবারের এবং নিরক্ষর গ্রামের মানুষের দুর্গতি-মুক্তির। দরিদ্র গ্রাম্যচাষী আজাহের ও তার পুত্র বছির, এই দুই প্রজন্মের জীবন সংগ্রামের সফলতা ও বিফলতার কাহিনী নিয়ে এই উপন্যাস।
Fiction
0
ভালো ছিলো, বেশ ভালো ছিলো বইটা। কাহিনীর বিন্যাস অসাধারণ, ধরে রেখেছে শেষ পর্যন্ত। তবে শেষের দিকে একটু অসামাঞ্জস্য লেগেছে। এক গুলিতে সব ভেঙ্গে পড়বে তাসের ঘরের মত এবং এটা কনফার্ম, কেমন যেন তাড়াতাড়ি শেষ করে দেয়া- সেটা একটু অস্বাভাবিক লাগল। শরীফ ভাই, অনেক শুভকামনা আপনার জন্য। এই বই পড়ে আপনার উপর ভরসা করে সাম্ভালা কিনেছি। দেখা যাক কি হয়! ;)
Fiction
0
কেএম ফিরোজ খানের জন্ম ১০ই অক্টোবর, ১৯৪৮ সালে। পিতা কেএম মোসলেম খান ও মাতা হালিমা খাতুন। তাঁর শৈশব ও কৈশোর কেটেছে মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর থানাধীন চরমুকুন্দিয়া গ্রামে। বিজ্ঞানে স্নাকোত্তর ডিগ্রি লাভের পর পিতার প্রতিষ্ঠিত ‘খান ব্রাদার্স এন্ড কোম্পানি’ নামক পুস্তক প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী পরিচালকের দায়িত্ব পান। প্রকাশনা জগৎ এ অনন্য এ প্রতিষ্ঠান থেকেই প্রকাশিত হয়েছে দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় লেখক এবং প্রথা বিরোধী বহুমাত্রিক লেখকসহ এক ঝাঁক প্রগতিশীল কবি সাহিত্যিকের প্রথম বই। পেশাগত অভিজ্ঞতা এবং ইতিহাসের প্রতি অনুরাগ থেকে এই প্রকাশক লেখক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে লেখক হিসেবেও প্রতিষ্ঠা পেয়েছন। লেখক ফিরোজ খানের “সিরাজউদ্দোলা থেকে শেখ মুজিব” বইটি তাঁর নিজের প্রকাশনী থেকে ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারীতে প্রথম প্রকাশিত হয়েছে। বইটিতে নবাবি আমল থেকে শুরু করে মুজিবের হত্যাকাণ্ড পর্যন্ত পরিসীমায় বাংলাদেশের সকল রাজনৈতিক উত্থান-পতনের ধারাবাহিক ইতিহাস বর্ণনা করার চেষ্টা করেছেন লেখক। পলাশীর চক্রান্তে পরাজিত হবার পর নবাব সিরাজউদ্দোলা নিরুপায় হয়ে স্ত্রী এবং কন্যা সহ ভাগলপুরের উদ্দেশ্য পলায়ন করেন। পথিমধ্যে রাজ মহলে রাত কাটাতে গিয়ে ধরা পড়ে তারা। শৃঙখলিত অবস্থায় তাকে মুর্শিদাবাদে এনে হত্যা করা হয়। অথচ সিরাজউদ্দোলা কখনো অন্যায়ের বা প্রতারণার আশ্রয় নেননি। তাঁর পরাজয় ও মৃত্যুর ফলেই বাংলায় ইংরেজ রাজ্য প্রতিষ্ঠার ভিত্তি স্থাপিত হয়। অন্যদিকে লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে যে স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশের আজ আমরা গর্বিত অধিবাসী তাঁর স্থপতি শেখ মুজিবুর রহমান। তাঁর ছিল ঈরষনীয় জনপ্রিয়তা এবং তিনি তা অর্জন করেছিলেন ধাপে ধাপে। বাংলা ও বাঙালীকে ভাল্বাসার কারণেই জণগন তাকে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধি দিয়েছিলো। বাংলার এই সূর্য সন্তান, সাহসী পুরুষকে কাপুরুষের মত হত্যা করে কতিপয় উচ্চাভিলাষী পথভ্রষ্ঠ সৈনিক। আলোচিত দ’টি হত্যাকান্ডই নির্মম, নৃশংস ও বর্বরচিত কাজ বলে লেখকের মনে প্রতীয়মান হয়েছে এবং ইতিহাসের স্বাভাবিক ধারায়ও পরিবর্তন এনেছে।
War
5
#রবিজ_রকমারি_বুক_রিভিউ_কন্টেস্ট লেখক পরিচিতিঃ মুহম্মদ জাফর ইকবাল স্যার সম্পর্কে কি আর বলবো! সায়েন্স ফিকশনকে তিনি শিল্প পর্যায়ে নিয়ে গেছেন। সায়েন্স ফিকশনও যে সাহিত্যের অংশ হতে পারে সেটি তিনি বেশ ভালোভাবেই চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন। ফলে অন্যরা পাচ্ছে সাহিত্যের এই শাখায় পদচারণার অনুপ্রেরণা। গল্পকথাঃ 'ফোবিয়ানের যাত্রী' গল্পটি এক অসাধারণ মহাজাগতিক যাত্রাকে ঘিরে। গল্পটির মূল চরিত্র ইবান নামের মহাকাশযান ক্যাপ্টেনের। ইবানের মায়ের স্বপ্ন ছিল যে তার ছেলে হবে এক হৃদয়বান মানুষ। তাই জিনেটিক ইঞ্জিয়ারিং করে ইবানের মা তার মধ্যে শুধু ভালোবাসা নামের অসাধারণ গুণটি প্রবেশ করায়। জিনেটিক ইঞ্জিয়ারিংয়ের মাধ্যমে অন্যান্য গুণগুলো না পাওয়ায় ইবানকে জীবনের পদে পদে বৈষম্যের শিকার হতে হয়। তবুও জিনেটিক গুণ না থাকা সত্ত্বেও নিজের যোগ্যতাকে প্রমাণ করে ইবান চতুর্থ মাত্রার মহাকাশযান চালানোর সুযোগ পায়। ইবানের মা অন্য একটা গ্রহের কলোনিতে চলে যায়। জীবনের উদ্দেশ্য বোঝার তার খুব ইচ্ছা রিতুন ক্লিস নামের এক মৃত মহাপুরুষের সাথে তার ব্রেইনের নিউরন ম্যাপিংয়ের সাহায্যে কথা বলার খুব ইচ্ছা। আর এই জন্যে প্রয়োজন একটা ৫ম মাত্রার মহাকাশযানের নিউরাল নেটওয়ার্ক। আর সৌভাগ্যক্রমে এই নতুন ধরনের ৫ম মাত্রার কার্গো মহাকাশযান চালানোর সুযোগ পায় ইবান। মহাকাশযানটির নাম 'ফোবিয়ান'। ম্যাটার-এন্টিম্যাটার ইঞ্জিন থেকে শুরু করে নিউক্লিয়ার অস্ত্রধারী রবোট পর্যন্ত কি নেই এতে! তবে মহাকাশযানটিতে বয়ে নিয়ে যেতে হবে শীতল ঘরে ঘুমন্ত ভয়ংকর সন্ত্রাসী ম্যাংগেল ক্বাসকে। নির্ধারিত দিনে ইবান তার মায়ের কাছে যাত্রা শুরু করে। যাত্রাকালে একদিন ইবান ইচ্ছা করে হঠাৎ মহাকাশযানটির গতির হেরফের করায় বিরাট ঝাঁকুনির সৃষ্টি হয়। এতে শীতলঘর থেকে ম্যাংগেল ক্বাসের সাথে সাথে মিত্তিকা নামের এক মেয়ে জেগে ওঠে। পরে আস্তে আস্তে মেয়েটির সাথে ইবান ভালোবাসার সম্পর্কে জড়ায়। ক্বাস জেগে ওঠার পরে আরেক রোমহর্ষক অ্যাভেঞ্চারের শুরু হয়। ক্বাস মহাকাশযানের দখল নেওয়ার চেষ্টা শুরু করে। ক্বাস আসলে একজন হাইব্রিড মানব ছিল। ফলে ইবান কিছুতেই ক্বাসের সাথে পেরে উঠছিল না। মহাকাশযানের উপর কর্তৃত্ব নেওয়ার পর ক্বাস তার অন্য সহযোগীদের উদ্ধারের জন্য একটি গ্রহে যায়। কিন্তু সবাই গ্রহটিতে আগেই মারা যায়। মৃত সহযোগীদের অন্য একটি সত্তা নিয়ন্ত্রণ করতে থাকে। শেষে তারা ক্বাসকেই আক্রমণ করতে থাকে। ইবান ও মিত্তিকা ক্বাসকে গ্রহটিতে একা ফেলে রেখে যেতে পারতো। কিন্তু ইবানের সহৃদয়তার কারণে ক্বাস রক্ষা পায়। মহাকাশযানে ফেরার পর ক্বাসও মিত্তিকার প্রেমে পড়ে যায়। ফলে দরকার হয় সবার উপর কর্তৃত্ব পাওয়া। তাই সে ইবানসহ মিত্তিকাকেও হাইব্রিড মানবে পরিণত করতে চায়। শেষে উপায় না দেখে ইবান মহাকাশযানটিকে ধ্বংস করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। ফলে পৃথিবীর সাথে যানটির যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। আর পৃথিবীর বিজ্ঞানীরা ভাবে যে ইবানরা মারা গেছে। ইবানের মায়ের কাছে খবরটি গেলে তিনি আত্মহত্যা করেন। কিন্তু রিতুন ক্লিসের সহযোগীতায় শেষমেশ ইবানরা বেচে যায় এবং পরে ইবান ক্বাসকে নিয়ন্ত্রণে নেয়। শেষে মায়ের মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে ইবান ভেঙে পড়ে। এরপর মিত্তিকা ইবানকে নিয়ে নতুন জীবন শুরু করার প্রতিজ্ঞা করার মাধ্যমে অসাধারণ গল্পটির সমাপ্তি হয়। ফোবিয়ানের যাত্রী গল্পটি পড়ে প্রকাশক এটিকে তাদের ওয়েবসাইটে ইবুক আকারে রেখে দেয়। মজার কথা হলো বাংলা ভাষার প্রথম ইবুক হলো এই 'ফোবিয়ানের যাত্রী' বইটিই। আমার পড়া শ্রেষ্ঠতম সায়েন্স ফিকশনগুলির মধ্যে ফোবিয়ানের যাত্রী অন্যতম। কেনইবা হবে না! বইটিতে আছে সুন্দর একটি ভালোবাসার গল্প, আছে উত্তেজনাকর একটি অ্যাভেঞ্চারের গল্প, আছে বেদনাময় মুহূর্তও। এক কথায় অসাধারণ একটি সায়েন্স ফিকশন এটি। ব্যক্তিগত রেটিংঃ ৯.৯/১০ By Stephen Hawking Jr.
Science-Fiction
4
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগীতা। বই- আমাজনিয়া। লেখক- জেমস রোলিন্স। অনুবাদ- রাকিব হাসান। ধরন- অ্যাডভেঞ্চার থ্রিলার। পৃষ্ঠা- ৪১৫। প্রকাশনী- বাতিঘর। প্রধান চরিত্র- নাথান র‌্যান্ড, কেলি ওব্রেইন, ম্যানুয়েল অ্যাজভেদো, প্রফেসর কাউয়ি, ড.লুই প্যাভ্রি, রির্চাড জেন। জেরাল্ড ক্লার্ক নামক চারবছর আগে হারিয়ে যাওয়া এক প্রাক্তন আমেরিকান সৈনিককে মৃত অবস্থায় খুজে পাওয়া যায় আমাজনের একটি মিশনারী গ্রামে। তবে হারিয়ে যাবার আগে তার ছিলো একহাত। কিন্তু এবারে যখন তাকে খুজে পাওয়া গেলো তখন দেখা গেলো তার দুটো হাত ঠিকই আছে। এছাড়া তার শরীরে রয়েছে অদ্ভুতুরে কিছু চিহ্ন। জেরাল্ড ক্লার্কের মৃতদেহ নতুন এক বার্তা এনেদিলো নাথান র‌্যান্ডের মনে। কারন চারবছর আগে জেরাল্ড ক্লার্কসহ যে এক্সপিডিশন টীমটা হারিয়ে গিয়েছিলো তার দলনেতা ছিলেন নাথানের বাবা কার্ল র‌্যান্ড। নাথানের জানতে হবে কি হয়েছে তার বাবার। টেলাক্স ফার্মাসিউটিকালস থেকে আবার একটি টীম পাঠানো হয় যা সিআইএ থেকে ফ্র্যাঙ্ক ওব্রেইন এবং কেলি ওব্রেইন এবং পাশাপাশি নাথানও নেতৃত্ব দিচ্ছে। নাথানের সাথে রওনা দেয় তার বন্ধু প্রফেসর কাউয়ি এবং ম্যানুয়েল। পরতে পরতে গভীর রহস্যে ছেয়ে থাকা আমাজনে ভয়ানক সব বিপদে পড়তে হয় তাদের। কিন্তু লক্ষ্যে অবিচল তারা। খোজ পেতে হবে হারানো দলটির। জানতে হবে এর সাথে আমাজনের লুকিয়ে থাকা গোত্র ব্যান আলীর কি সর্ম্পক। জঙ্গলে ওৎ পেতে থাকে মারাত্মক সব বিপদ। মিউট্যান্ট পিরানহা, জাগুয়ার কিংবা জায়ান্ট কেইমান কুমীর। কিন্তু নাথান জানেনা ওর পিছনে লেগে আছে আরেক রহস্যময় দস্যু ড. লুই প্যাভ্রি যে কিছু পুরোনো হিসেব মেটাতে চায় ওর সাথে। অথচ নাথানের ধারনাই নেই কি সেই পুরোনো হিসেব? সে তো চেনেইনা লুই কে? তাহলে লুইয়ের সাথে তার কিসের শত্রুতা? সামনে ব্যান আলী এবং পিছনে লুই। নাথানদের সংখ্যা একটু একটু করে কমছে এবং ওদের পালাবার রাস্তাও নেই। নাথান জানেনা ব্যান আলীরা কি বিশাল চমক প্রস্তুত করে রেখেছে ওর জন্য। অনেকদিন পর আবার পড়লাম আমাজনিয়া। জেমস রোলিন্সের অনবদ্য মাষ্টারপীস। জেমস রোলিন্সের প্রথম উপন্যাস এক্সকেভেশন হলেও বাংলায় আমাজনিয়াই প্রথম রুপান্তর হয়। এই একটি বই বাংলাভাষী পাঠকদের কাছে জেমস রোলিন্সকে বিপুল জনপ্রীয় করে তোলে। এর ফলশ্রুতিতে আজ তার প্রায় সব বই অনুবাদ হয়ে যাচ্ছে। এরজন্য অনুবাদক রাকিব হাসান বেশ বড় একটা ক্রেডিট পান। কারন তারজন্যই এই অসাধারন লেখকের খোজ পাওয়া গেছে। আমাজনিয়ার বিষয়বস্তু উদ্ভিদ ও প্রাণীবিজ্ঞান নিয়ে। রোলিন্স নিজে একজন পশুচিকিৎসক হওয়াতে বৈজ্ঞানিক ব্যাপারগুলো দারুনভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। তবে দুটো যায়গা ঠিক খাপে খাপ খায়নি। প্রথমটি শুরুর দিকে একটি অ্যানাকোন্ডার প্রসঙ্গ। লেখকের মতে যা ছিলো চল্লিশ ফুট। যদিও চল্লিশফুট কোনো অ্যানাকোন্ডা এখনও পাওয়া যায়নি। সর্বোচ্চ ত্রিশ গিয়েছে বোধহয়। দক্ষিন আমেরিকায় সবচেয়ে বড় সাপের যে ফসিল পাওয়া গেছে তা পয়তাল্লিশ ফুট লম্বা, বিজ্ঞানীরা এর নাম দিয়েছেন টাইটানোবোয়া। অপর বেখাপ্পা বিষয়টি হচ্ছে কেইমান কুমীরের আকৃতির প্রসঙ্গে। লেখকের বক্তব্য অনুযায়ী এরা মিউট্যান্ট কুমীর তাই আকৃতিতে ১২০ফুট বড়। কুমীর পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সরিসৃপ। সবচেয়ে বড়টাই এখন পর্যন্ত পাওয়া একুশ ফুট ফিলিপাইনি কুমীর ললং। ১২০ফুট হলে এটা আর কুমীর থাকেনা, গডজিলা হয়ে যায়। ১২০ফুট লম্বা কোনো প্রাণী দেখতে চাইলে আপনারা র্স্পাম তিমির দিকে তাকাতে পারেন। এখন একটা কুমীর যদি তিমির সমান হয় তাহলে তা প্রাকৃতিক নিয়মের বিরুদ্ধে চলে যায়। আর প্রাকৃতিক নিয়ম অনুযায়ী এরা অতো বড় হতে পারেনা। এমনকি জুরাসিক যুগেও অতো বড় কুমীরের ফসিল পাওয়া যায়নি। যাইহোক, এসব বিষয় উপন্যাসের সৌর্ন্দয্যকে নষ্ট করতে পারেনি। উপন্যাস তার নিজস্ব গতিতে এগিয়ে গেছে। সবাইকে পড়ার আহব্বান রইলো। রেটিং- ৫.০০/৫.০০
Thriller
1
‘টিফিনবক্সে দৈত্য’ ইকবাল খন্দকার এর লেখা একটি শিশুতোষ গল্পের বই । লেখক ইকবাল খন্দকার এর স্থায়ী ঠিকানা নরসিংদী জেলার বেলাবো উপজেলার ভাবলা গ্রামে । তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স ও মাস্টার্স করেছেন । এই পর্যন্ত তার লেখা মোট ৫৩ টি বই প্রকাশিত হয়েছে । তার লেখা টিফিনবক্সে দৈত্য বইটি প্রথম প্রকাশিত হয় ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে । বইটি প্রকাশিত হয় আদিগন্ত প্রকাশনী থেকে এবং এর প্রকাশক মোশতাক রায়হান । বইটির প্রচ্ছদ করেছেন বিপ্লব চক্রবর্তী । বইটি তে লেখক এর লেখা কয়েকটি ছোটগল্প প্রকাশ করা হয়েছে । বইটির শেষ গল্পের নাম টিফিনবক্সে দৈত্য এর থেকেই বইটির নামকরন করা হয়েছে টিফিনবক্সে দৈত্য । মজার মজার কিছু শিশুগল্পের সাথে এই গল্পটিও প্রকাশ করা হয়েছে বইটিতে , যা শিশু কিশোর পাঠকদের মনের মত করে লেখা , অত্যন্ত সহজবোধ্য ও প্রাঞ্জল ভাষায় লেখা এ বইটি পড়লে শিশু কিশোর পাঠক দের নিকট অত্যন্ত ভালো লাগবে । টিফিনবক্সের ভেতর থেকে লাফ দিয়ে বের হয় বাচ্চা দৈত্যটা। তারপর লাফিয়ে লাফিয়ে এগিয়ে যেতে থাকে রোহানের দিকে। মৃত্যু নিশ্চিত জেনেও বাঁচার শেষ চেষ্টা করে রোহান। সে অল্প অল্প করে যেতে থাকে পেছনের দিকে। হঠাৎ তার পিঠ ঠেকে যায় দেয়ালে। তার আর নড়ার উপায় থাকে না। তাকে আটকে যেতে দেখে অট্টহাসিতে ফেটে পড়ে দৈত্যটা। আর বাচ্চা দৈত্যটা লাফাতে লাফাতে চলে আসে রোহানের পায়ের কাছে। হয়তো এখনই কামড়ে ধরবে তাকে। কি হবে রোহান এর ? এই অসাধারন গল্পটির নাম টিফিনবক্সে দৈত্য । এটি ছাড়াও আরো কয়েকটি গল্প এখানে স্থান পেয়েছে , যেগুলো কে এক কথায় অসাধারন বলা যায় ।
Childrens-Book
2
‘গনতন্ত্রের অমসৃণ পথ’ বইটির লেখক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী । লেখক এর জন্ম ১৯৩৬ সালে । তিনি পেশায় সাহিত্যের অধ্যাপক এবং অঙ্গীকারে লেখক। এই দুই সত্তার ভেতর হয়তো একটা দ্বন্দ্বও রয়েছে, তবে সেটা অবৈরী, মোটেই বৈরী স্বভাবের নয়। পেশাগত জীবনে তিনি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি সাহিত্যের অধ্যাপক, অবসরগ্রহণের পর ওই বিশ্ববিদ্যালয়েরই প্রফেসর এমেরিটাস হিসাবে মনোনীত হয়েছেন। তিনি শিক্ষা লাভ করেছেন রাজশাহী, কলকাতা, ঢাকা এবং ইংল্যান্ডের লীডস ও লেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ে। লেখার কাজের পাশাপাশি তিনি ‘নতুন দিগন্ত’ নামে সাহিত্য-সংস্কৃতি বিষয়ক একটি ত্রৈমাসিক পত্রিকা সম্পাদনা করছেন। তার গ্ৰন্থসংখ্যা আশির কাছাকাছি। তার অকালপ্রয়াত স্ত্রী ড. নাজমা জেসমিন চৌধুরীও লিখতেন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করতেন।তার লেখা গনতন্ত্রের অমসৃণ পথ বইটি প্রথম প্রকাশিত হয় ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে । বইটি প্রকাশিত হয় সূচীপত্র প্রকাশনী থেকে এবং এর প্রকাশক সাঈদ বারী । প্রচ্ছদ করেছেন নিয়াজ চৌধুরী তুলি । গনতন্ত্র কি ? গনতন্ত্র হচ্ছে জনগনের কল্যানে দেশের জন্য কাজ করা । গনতন্ত্রের কথা সকলেই বলে , খুব সম্ভবত সকলেই চায় গনতন্ত্র । কিন্তু সকলেই কি সত্যিই চায় ? না সকলে চায় না । দেশের শাষক গোষ্ঠী চায় না । তবে সাধারন মানুষ ঠিকই চায় । ফলে এই দুই পক্ষের মধ্যে বাধে দ্বন্ধ । সমস্যাটাই এইখানে । শাষক গোষ্টী যে গনতন্ত্রের কথা বলে তা মুলত হচ্ছে ভোটের মাধ্যমে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল এর । অপরদিকে জনগন যে গনতন্ত্র চায় তা হচ্ছে মুক্তির পথ ।শাষক শ্রেনী বিশ্বাস করে পুজিবাদে, তারা চায় পুজিবাদী ব্যবস্থা কে টিকিয়ে রাখতে । অপরদিকে তারা মুখে মুখ গনতন্ত্রের কথাই বলে । এইরকম বিভিন্ন অসামঞ্জস্য ব্যাপার নিয়ে বিস্তারিত ভাবে লেখক লিখেছেন তার এ বইটি তে । গনতন্ত্র, রাজণীতি সম্পর্কে যারা জানতে আগ্রহী , তাদের জন্য অসাধারন তথ্যবহুল একটি বই এটি ।
Political
3
আমার পড়া হুমায়ূন সাহেবের সব থেকে ভালো লেখাগুলোর একটি। এর থেকে ভালো আর কী হয়? ? ? আমাদের কপাল খারাপ যে হুমায়ূন আহমেদ এই ধাঁচের লেখা খুব বেশী দিন চালিয়ে যাননি বা যেতে পারেননি। ব্যবসা সফল বই পাঠকদের দিতে গিয়ে এমন উচু মানটা বজায় রাখতে পারেননি বা রাখেননি। মার্কেটিং এর ভাষায় "এক্সপেকটেশন খুব বেশি উঁচুতে নিয়ে গেলে ভোক্তা একসময় না একসময় নিরাশ হবেই" :-/
Fiction
0
হাসান মধ্যবিও ঘরের ছেলে।অনেকদিন যাবত চেষ্টা করেও একটা জব যোগাড় করতে পারতেছে না।যদিও একেবারে কিছুই করে না তাও না।হিশামুদ্দীন নামে একজনের কথা শুনে সপ্তাহ একদিন।সে কথা নোট করে।তার কাজই হলো কথা শুনা এবং সেসব কথা নোট করা।সেখানে ঘন্টা হিসেবে টাকা পায়।হাসানরা তিনভাই একবোন।বড় ভাই চাকরি করে।সে বিবাহিত।তার দুইছেলে রয়েছে।টগর,পলাশ।বউয়ের নাম হলো রীনা।হাসানের ছোট ভাই রকিবের সাথে তেমন কারো সাথে যোগাযোগ নেই।হাসান একটি মেয়েকে অনেক ভালোবাসে।মেয়েটির৷ নাম তিতলী।তিতলীও হাসানকে অনেক ভালোবাসে।হাসান চাকরির জন্য বিয়ের প্রস্তাব পাঠাতে পারতেছে না।এদিকে তিতলীও হাসানের চাকরির জন্য অপেক্ষা করে।হাসানের বড় ভাই যেখানে চাকরি করে সেখানের এক কলিগকে তার ভালো লাগে।সে তার প্রেমে পরে যায়।মেয়েটির একটি মেয়েও রয়েছে।স্বামী মারা গেছে।বিভিন্ন কৌশলে রীনা তা বুঝতে পারে।সে তার চাকরির কথা বলে ওই মেয়ের সাথে ঘুরেও এসেছে।অথচ সে রিনাকে বলেছে যে সে অফিসের কাজে যাচ্ছে।তাকে অফিস থেকে পাঠানো হয়েছে।এদিকে তিতলির ফুপু তার জন্য ছেলে দেখে।একজনের খবর এনেছে যে কিনা লেকচারার। পরিবার ভালো,টাকা পয়সা ভালোই আছে।ছেলের দাদি হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার ফলে তার ইচ্ছা হলো মারা যাওয়ার আগে নাতবউকে দেখে যাবে।তাই তিতলির বিয়ে খুব হঠাৎ করেই হয়।হাসান এর কিছুদিন পর তাদের বাসায় গেলে তখন এই খবর জানতে পারে।তিতলি বাসায়ই থাকে কিন্তু হাসানের সাথে দেখা করে না।এদিকে রিনা বাসা থেকে চলে যায়।সে গিয়ে উঠে তার এক বন্ধুবির বাসায়।সে চাকরি করা শুরু করে কারন বাচতে হলে টাকা ইনকাম করাই লাগবে কতদিন আর অন্যর টাকাতে চলবে।হিশামুদ্দিন সাহেব মারা যান।তার মারা যাওয়ার পরে তার মেয়ে চিএলেখা তার বাবার সব ব্যবসা ধরে।সেই একমাএ সন্তান তার বাবার।হাসানের সাথে তার দেখা আগেও হয়েছিল।তার বাবা মারা যাওয়ার পর অনেক কথা হয় তাদের।চিএলেখা বুঝার চেষ্টা করে কেন সে হাসানকে এত পছন্দ করতেন।তার কি অন্য কোনো চিন্তা মাথায় ছিল।রিনার কাজে খুশি হয়ে তার বস তাকে তাদের লন্ডনের অফিসে পাঠানোর চিন্তা করে।রিনা তা জানানোর জন্য তার স্বামীর অফিসে যায়।সে অপেক্ষা করে কখন সে বলে যে তোমার যাওয়ার দরকার নেই তুমি আমাদের সাথেই থাকো।কিন্তু সে এরকম কিছুই বলে না।রিনাকে একবার যদি বলতো তাইলেই সে কখনো যেত না।হাসানের বোনের বিয়ে হয় এর মধ্যে। প্রথমে সে এই বিয়ে নিয়ে অনেক অখুশি থাকে কারন যার সাথে তার বিয়ে ঠিক হয়ছে তার আগের ঘরের একটা বাচ্চা আছে কিন্তু পরে সে অনেক খুশিতেই থাকে। এর মধ্যে হাসানের বড় রোগ ধরা পরে।তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।তাকে দেখতে চিত্রলেখা হাসপাতালে যায়। গল্পটা এক কথায় অসাধারণ।গল্পটিতে বিভিন্ন চরিএের প্রত্যেকটি কাহিনীই অনেক সুন্দর করে ফুটিয়ে তুলতে পেরেছে লেখক।হাসান,তিতলি,রিনা,বড় ভাই,চিএলেখা এদের সবার কাহিনিকে লেখক খুব সুন্দর একটার সাথে আরেকটি চরিত্র এমন ভাবে তৈরী করেছেন যে একটি চরিত্র বাদ দিলেই পুরা গল্পের মজাটায় নষ্ট হয়ে যেত।গল্পটা আসলেই অনেক ভালো।সবারই ভালো লাগবে এতে কোন সন্দেহ নেই।তাই সবাই পড়বেন,ভালো লাগবে এই আমার বিশ্বাস।
Fiction
0
রকমারি_রিভিউ_প্রতিযোগ_জুন বইয়ের নাম: পথের পাচালী লেখক : বিভূতিভূষণ বন্দোপাধ্যায়। প্রকাশক: ভাষা প্রকাশ ধরন: চিরায়ত উপন্যাস লেখক পরিচয়: জন্ম ১২ সেপ্টেম্বর ১৮৯৪ এবং মৃত্যু ১লা নভেম্বর ১৯৫০। তিনি মূলত উপন্যাস ও ছোটগল্প লিখে খ্যাতি অর্জন করেন। পথের পাঁচালী ও অপরাজিত তার সবচেয়ে বেশি পরিচিত উপন্যাস। অন্যান্য উপন্যাসের মধ্যে আরণ্যক, আদর্শ হিন্দু হোটেল, ইছামতী ও অশনি সংকেত বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। উপন্যাসের পাশাপাশি বিভূতিভূষণ প্রায় ২০টি গল্পগ্রন্থ, কয়েকটি কিশোরপাঠ্য উপন্যাস ও কয়েকটি ভ্রমণকাহিনী এবং দিনলিপিও রচনা করেন। তার রচিত অসংখ্য উপন্যাস,গল্প,ভ্রমন কাহিনী, কিশোর পাঠ্য এবং বিবিধ রচনা বাংলা সাহিত্যের উল্লেখযোগ্য স্হান দখল করে আছে। পথের পাঁচালী (১৯২৯): প্রখ্যাত সাহিত্যিক বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত একটি বিখ্যাত উপন্যাস। বাংলার গ্রামে দুই ভাইবোন অপু আর দুর্গার বেড়ে ওঠা নিয়ে এই উপন্যাস। এই উপন্যাসের ছোটদের জন্য সংস্করনটির নাম আম আঁটির ভেঁপু। পরবর্তী কালে বিখ্যাত বাঙালি চলচ্চিত্র পরিচালক সত্যজিৎ রায় এই উপন্যাসটি অবলম্বনে পথের পাঁচালী (চলচ্চিত্র) নির্মান করেন যা দর্শকদের কাছে ব্যাপক সাড়া পায়। সমগ্র উপন্যাসটি তিনটি খণ্ড ও মোট পঁয়ত্রিশটি পরিচ্ছেদে বিভক্ত। খণ্ড তিনটি যথাক্রমে বল্লালী বালাই (পরিচ্ছেদ ১-৬; ইন্দির ঠাকরূনের বর্ণনা দেওয়া হয়েছে), আম-আঁটির ভেঁপু (পরিচ্ছেদ ৭-২৯; অপু-দুর্গার একসাথে বেড়ে ওঠা, চঞ্চল শৈশব, দুর্গার মৃত্যু, অপুর সপরিবারে কাশীযাত্রা চিত্রিত হয়েছে) এবং অক্রূর সংবাদ (পরিচ্ছেদ ৩০-৩৫; অপুদের কাশীজীবন, হরিহরের মৃত্যু, সর্বজয়ার কাজের জন্য কাশীত্যাগ এবং পরিশেষে নিশ্চিন্দিপুরে ফিরে আসার কাহিনী বর্ণিত হয়েছে) । বল্লালী বালাই: একজন নারীর কিরকম অনুভূতি হয় যখন সে ক্রমাগতভাবে নির্যাতিত হয়, কারণ তার কোন আয়ের উৎস নেই? যখন একজন নারী তার জীবনের শেষ পর্যায়ে চলে আসে, তখন তার সামাজিক পরিস্থিতি কেমন হয়? যখন কোন নারী অল্পবয়সে স্বামীহারা হয় এবং সমাজ তাকে আবার বিয়ে করবার অনুমতি দেয় না তখন সেই নারীর সামাজিক অবস্থান কোথায় দাঁড়ায়? এই সব প্রশ্নের উত্তর বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের পথের পাঁচালী বইয়ে রয়েছে। এই উপন্যাসের প্রথম অংশে আমরা তৎকালীন সমাজ ব্যবস্থার অন্যতম ত্রুটি বাল্যবিবাহ ও যৌতুককে প্রকট আকার ধারণ করতে দেখি। নিশ্চিন্দিপুর গ্রামকে কেন্দ্র করে এ উপন্যাসের প্রেক্ষাপট। গ্রামের মেয়ে ইন্দিরঠাকুরনের বিয়ে অল্পবয়সে এমনই এক লোকের সাথে লোকের সাথে দেয়া হয়, যে বেশি যৌতুকের লোভে অন্যত্র বিয়ে করেন এবং আর কখনও ফিরে আসে না। তখন আয়হীন ইন্দিরঠাকুরনের স্থান হয় তার বাবার বাড়িতে এবং তাদের ও তার ভাইয়ের মৃত্যুর পর তার দূরসম্পর্কের আত্মীয় হরিহরের বাড়িই তার স্থান হয়। সেখানে প্রতিমুহূর্তে তাকে মনে করিয়ে দেয়া হত যে সে একজন আশ্রিতা ছাড়া আর কেউ নয়। সে প্রায়শই বাড়ি থেকে বেরিয়ে যেত, কিন্তু দিনশেষে তার পথ এসে শেষ হত হরিহরের বাড়িতেই। একবার ঘটনাক্রমে বাড়ি থেকে তাকে একেবারে বের করে দেয়া হয় এবং মর্মান্তিকভাবে তার জীবনের ইতি ঘটে। আম-আঁটির ভেঁপু: এই উপন্যাসের দ্বিতীয় অংশ ‘আম আঁটির ভেঁপু’। হরিহর আর সর্বজয়ার দুই সন্তান মেয়ে দূর্গা ও ছোট ছেলে। এই চারটি প্রধান চরিত্রকে কেন্দ্র করেই উপন্যাসের এ অংশের বিকাশ। গ্রামের অবারিত পরিবেশে বেড়ে ওঠা অপু দূর্গা দুই ভাইবোন একে অপরেরর প্রতি অন্তপ্রান। তাদের বাবা বংশে কুলীন ব্রাহ্মণ হলেও তাহারা অর্থ অভাবে কোন মতে দিনগুজরান করেন। মা সর্বজয়া সন্তানদের মুখে ভালো খাবার তুলে দিতে পারেন না বলে মরমে ব্যাথিত থাকেন।দুই ভাইবোন বনেবাদাড়ে ঘুরে বেতফল, পানিফল,অপরিপক্ক আমের গুটি, কুল, বুচিফল ইত্যাদি খেয়ে মহাতৃপ্ত হয়।জীবনে এরা কোন ভাল খাবার খায়নি। রেলগাড়ির রাস্তা দেখার জন্য তারা অনেক দূর চলেযায় কাউকে না বলে। অভাবের জন্য স্বাভাবিক ভাবেই কিশোরী দূর্গার ছিল কিছুটা হাতটান স্বভাব।এজন্য পাড়ার জেঠিমা এসে কয়েক বার দূর্গা ও তার মাকে অপদস্থ করে যায়। তাদের বাবা ভাগ্যের সন্ধানে নানান জায়গায় ঘুরে বেড়ায়।বাড়িতে সংসার চালানোর মত টাকা না থাকায় সর্বজয়া ঘটিবাটি বিক্রি করে খেয়ে না খেয়ে দিনপাত করে।অপুর পড়ার আগ্রহ থাকলেও তা আর হয়ে ওঠেনা দরিদ্রের কষাঘাতে। বহুদিন ম্যালেরিয়ায় ভুগে দূর্গা শয্যাশায়ী।এমন দূর্দিনে নেমে আসে প্রাকৃতিক দূর্যোগ। বৃষ্টি-বন্যা-ঝড়। প্রায় বিনা চিকিৎসায় মারা যায় দূর্গা নামের সদাচঞ্চল কিশোরী। অপু হয়ে পড়ে সাথীহারা প্রানহীন বালক। অক্রুর সংবাদ: সন্তান হারানো হরিহর আর সর্বজয়ার কিছুতেই আর মন টেকেনা এ গায়ে। হরিহর সব কিছু পানির দামে বেচে দিয়ে গায়ের পাঠ চুকিয়ে কাশী চলে যান পরিবার নিয়ে। সেখানে নতুন সংসার প্রথমে ভালোই চলছিল কিছুদিন। স্বাচ্ছন্দ্যের স্বাদ পেতে না পেতেই হরিহর নিউমোনিয়া বাধিয়ে বসেন।কিছুদিন শয্যাশায়ী থেকে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। বিদেশ বিভূইয়ে বালকপুত্র অপুকে নিয়ে তার মা অথই পাথারে পড়লেন। কোন উপায় না পেয়ে এক ধনী গৃহস্থের বাড়িতে রাধুনীর চাকুরি নেন সর্বজয়া। সেখানে না আছে স্বাধীনতা না আছে সন্মান।রাধুনির ছেলে হয়ে বাড়ির ছেলেদের সাথে মেশার অপরাধে অপুকে মার খেতে হয়।সর্বজয়া কষ্টে চুরমার হতে থাকে ভিতরে ভিতরে। মনে পড়ে অতীতের পুরানো দিনের কথা। মনে পড়ে সেই নিশ্চিন্দিপুর গ্রাম। অপু একদিন বড়হয়ে আয় রোজগার করবে, তাদের কষ্টের দিন পাল্টে যাবে এমনি স্বপ্নে নিজেকে বিভোর রেখে আত্মপ্রসাদ পেতে চান অপুর মা সর্বজয়া। সর্বজয়ার চোখের অশ্রু মোছার জন্যও কেউ ছিল না। সবাই তার কষ্টের সুযোগ নিতে চায়। সাহায্যের হাত কেউ বাড়ায় না। অবশেষে সে অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে ছেলে অপুকে নিয়ে তার নিজ গ্রাম নিশ্চিন্দিপুরের পথে রওনা হয়। কিন্তু সে তার সঠিক পথ খুঁজে পায় না। কিন্তু বলাই বাহুল্য যে এই সামাজিক বৈষম্য আজকের একবিংশ শতাব্দিতে এই উন্নত সমাজেও পরিলক্ষিত হয়। বস্তুত এই উপন্যাস আদি ও বর্তমান সামাজিক উথ্থান পতন ও সামাজিক কুসংস্কারের প্রতিচ্ছবি। মন্তব্য: পথের পাঁচালী কালজয়ী অমর সৃষ্টি। উপন্যাসের আড়ালে এটি লেখকের আত্মজীবনী বলে অনেক সাহিত্য সমালোচকের ধারণা। কিশোর অপু আর দূর্গা পাঠকের হৃদয়ে বেঁচে থাকবে চিরকাল।
Fiction
0
অনেকদিন পর খুব সোজা সহজ ভাষায় একটা প্রেমের উপন্যাস পড়লাম। অনেক ভালো লেগেছে, নিজেকে কখনো মেঘ কখনো রাত্রি ভাবতে ইচ্ছে হয়েছে। সুন্দর আবেগ নিংড়ানো কথা আমার মন কেড়ে নিয়েছে। জানতে ইচ্ছে করছে ওনার নতুন বই কবে পাবো আবার। আশা করি আমাদের জন্য খুব জলদি আবার উনি লিখবেন। অনেক শুভ কামনা ফারজানা মিতুর জন্য।
Fiction
0
বই - দ্য এন্ড | লেখক - আবুল ফাতাহ মুদ্রিত মূল্য - ৩৮০ | পৃষ্ঠা সংখ্যা - ৩১৯ প্রকাশনী - রোদেলা | প্রকাশকাল - বইমেলা ২০১৮ _____________________________________________ #কাহিনী_সংক্ষেপঃ কিছুদিন পরই কক্সবাজারে আসবেন প্রধানমন্ত্রী। এর আগেই, কক্সবাজার বীচে পাওয়া গেল এক অজ্ঞাত মানুষের লাশ। নড়েচড়ে উঠলো গোয়েন্দা সংস্থা। ক্রাইম সিন, এভিডেন্স, পোস্টমর্টেম রিপোর্ট আর ছোট্ট কাগজে লিখা 'তামাম শুদ' দেখে পিলে চমকালো এন.এস.আই সদস্য জাহিদের। প্রাইভেট ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি 'সিক্রেট শ্যাডো' প্রধানমন্ত্রীর অনুরোধে আনঅফিসিয়ালি হ্যান্ডেল করছে এই মিস্ট্রিয়াস কেস। প্রমান ছাড়াই, দিনেদুপুরে হোটেলের সামনে খুন হলো, জাহিদ। এই কেসে জড়িয়ে পড়লেন, সিক্রেট শ্যাডো'র সদস্য মেজর সাইফ। তারসাথে যোগ দিলো, এন.এস.আই সদস্য আযীন। এদিকে, হিটম্যান গুস্তাভো প্রবেশ করেছে বাংলাদেশে, যার শেষ লোকেশন ট্র‍্যাক হয় কক্সবাজার। কক্সবাজারে দুটি খুন, হিটম্যানের উপস্থিতি, এন.এস.আই সদস্য আযীনকে হত্যা চেষ্টা আর 'তামাম শুদ' শব্দ দুটি চিন্তায় ফেলে দেয় মেজর সাইফকে। এনালাইসিস উইংয়ের সাবেরের দেয়া তথ্য, সাইফকে টেনে নিয়ে যায় সুদূর অস্ট্রেলিয়া। সাথে আযীন। আর এখানে এসে বুঝতে পারে, সে আসেনি তাকে আনা হয়েছে, অদ্ভুতভাবে তাকে জড়িয়ে ফেলা হয়েছে এই কেসে, পিছু হটার কোন উপায় নেই! আর এর পেছেনে কলকাঠি নাড়ছে প্রচন্ড ক্ষমতাধর অদৃশ্য কেউ! কে সে? কেন এসব করছে? __________________________________________ #পাঠ_প্রতিক্রিয়াঃ কিছুক্ষণ আগেই শেষ করলাম, এ বছরের প্রকাশ হওয়ার আগেই সমালোচিত বই 'দ্য এন্ড'। যা হোক এ বিষয়ে কিছু বলতে চাইনা। ইতিহাসের সাথে ফিকশন মিশিয়ে চমৎকার একটি হিস্টোরিকাল থ্রিলার বই 'দ্য এন্ড'। লেখকের তিন বছর সময় নিয়েছেন এই বই লিখতে এটা তার পোস্ট পড়েই জানতে পেরেছিলাম। তবে লেখক যে, প্রচুর খাটাখাটনি আর পড়াশুনা করেছেনে এই বইয়ের পেছনে সেটা বইটি পড়লেই পাঠক সহজেই বুঝতে পারবে। এই বই পাঠককে বর্তমান থেকে নিয়ে যাবে ঊনিশি শতকে, সেখান থেকে টেনে নিয়ে যাবে আরো অতীতে হাজার শতকে, দাঁড় করিয়ে দিবে ইতহাসের, জানিয়ে দিবে অজানা অনেক কিছুই। তবে ইতিহাস জানানোর দায় লেখকের নয়। কতটুকু থ্রিল, কতটুকু ফিকশন আর কতটুকু ইতিহাস তা আলাদা করার দায়ভার পাঠকের উপরই চাপিয়ে দিয়েছেন। একজন নগন্য পাঠক হিসেবে এতটুকু বলিই, এ বছরে যে কয়টা থ্রিলার বইয়ের অপেক্ষায় ছিলাম এক নাম্বারে ছিল, দ্য এন্ড। আর এটা আমাকে নিরাশ করেনি। শুরু থেকে টানটান উত্তেজনা যা চুম্বকের মতোই ধরে রেখেছিল। আজ সেমিস্টার ফাইনালের প্রথম এক্সাম ছিল, আর আমি ভার্সিটি যাওয়ার সময়টা, প্রায় ৪৫ মিনিট এই বইটা পড়েছি। এক্সাম দিয়ে বের হয়েই শুরু করে দিয়েছিলাম পড়া। বাকিটা বুঝে নিন তাহলে...................!!
Thriller
1
শেষের কিছু অংশ ছাড়া আগা-গোড়া বিরক্তিকর এবং ভুলে ভরা একটা বই।অপ্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে ঠাসা,পড়তে গেলে মনে হয়েছে হয় ফ্রি-মেসনের উপরে পিএইচডি ডিগ্রী করছি বা লেখক নিজের জ্ঞান জাহির করার ধান্ধায় নেমেছেন।টেনে হিঁচড়ে কাহিনী বড় করা হয়েছে।পুরোপুরি ফালতু বলা যাচ্ছেনা,ফালতু থেকে এক রেটিং উপরে রাখা যায়। পজিটিভ দিক- যদিও আগেই বলেছি অপ্রয়োজনীয় তথ্যে ঠাসা,তবুও বইয়ের একমাত্র পজিটিভ দিক এটাই।আপনি যদি জানতে চান,জানার প্রতি আগ্রহী হন,তাহলে বইটা আপনার জন্য ভালো একখানা সোর্স।বুঝাই যাচ্ছে এইসবের জন্য লেখককে প্রচুর পড়াশোনা করতে হয়েছে,এজন্য উনাকে সাধুবাদ জানাতেই হয়।বেশকিছু নতুন জিনিস জেনেছি। নেগেটিভ দিক- প্রচুর পরিমাণ তথ্যই এই বইয়ের অন্যতম নেগেটিভ দিক।অযথা অনেক তথ্য ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছে,পড়তে পড়তে বিরক্তি এসে গেছে,খেতে না পারলে মানুষ যেমন গিলে ফেলে,এটাকেও আমার গিলে ফেলতে হয়েছে,এখনো উগড়াইনি। ভুলের আধার বলা যায়।এতগুলো ভুল নোট করেছি,বুঝতেছিনা এতগুলো লেখব কীভাবে,তাই অল্প কয়েকটা দিয়েই কাজ চালাই-- পৃষ্ঠা-১৮ তোফায়েল আসিফকে বলছে, ‘সম্ভবত পয়জন,স্যার।তবে পয়জনটা মুখ দিয়ে প্রবেশ করেনি। সমস্যা হলো পরে আসিফ ডানা বাতশিভাকে প্রধানতম সাসপেক্ট করে সে তানভীর জালালের রাঁধুনী বলে!! পৃষ্টা ২০ এ আসিফের ভাবনা থেকেই বুঝা যেতে পারে মুখ দিয়ে বিষ প্রবেশের ধারণার কথা-- ‘’দ্বিতীয় সমস্যা ,প্রফেসর খুব সম্ভবত বিষ প্রয়োগে নিহত হয়েছেন।এটুকু জানা গেছে,জানা যায়নি বিষ।টা তার শরীরে কিভাবে ঢুকলো।কয়েকভাবেই সেটা করা যেতে পারে।রাতের কিংবা দুপুরের খাবারের সময় কিংবা প্রফেসরের দৈনন্দিন কোন মেডিকেশন নেয়ার অভ্যাস বা প্রয়োজন থাকলে সেই ছুতোতেও খাইয়ে দেওয়া সম্ভব।‘ তোফায়েল যখন আগেই বলে দিয়েছে মুখ দিয়ে বিষ প্রবেশ করেনি তখন আসিফ কেন এই কথা ভাবলো বুঝিনি।আমার বুঝার সমস্যা নাকি আসিফের মেমোরি লস?? পেইজ ৭৪- ‘আব্রাহাম লিংকন-যাকে আমেরিকার প্রতিষ্ঠাতা বলা চলে-............ ফ্যাক্ট-আমেরিকা স্বাধীনতা-প্রাপ্ত হয় ৪ জুলাই,১৭৭৬।আব্রাহাম লিংকনের জন্ম-১৮০৯ সাল। একই পেইজে,আব্রাহাম লিংকনকে বলা হয়েছে আমেরিকার প্রথম প্রেসিডেন্ট,তাও একবার না,দুই দুই বার।যদিও আমরা জানি আমেরিকার প্রথম প্রেসিডেন্ট-জর্জ ওয়াশিংটন। মাঝখানের ভুলগুলো নিয়ে আর লেখছিনা,রচনা হয়ে যাবে।আমরা চলে যাই শেষের দিকে- পেইজ ৩৩০- ‘মৃত অসপেক্স আর ধৃত রিয়াজুল করিমের ব্যাপারে সাথে সাথে ইজরায়েলের সাথে যোগাযোগ করে বাংলাদেশ।‘ এরপর নিচেই আবার বলেছেন-- ‘ইজরায়েলের সাথে যেহেতু বাংলাদেশের সরাসরি যোগাযোগ করার সম্ভাবনা নেই.........’ যদ্দুর জানি ইজরায়েলের সাথে বাংলাদেশের কোন কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই।লেখক যে সেটা জানেন সেটা ২য় কোটেশনেই বুঝা যায়।তারপরও কেন তিনি ১ম কোটেশনে যোগাযোগের কথা আনলেন বুঝলাম না। বইটার ৬৬ নং অধ্যায়টা চলেছে খুবই তাড়াহুড়োয়,যেন ম্যাজিকের মত ধাম ধাম করে সব কাজ হয়ে গেল!! সবচেয়ে বিরক্তিকর চরিত্র হলো-সৈকত।ভ্যাম্পায়ার হওয়ার জন্য প্রয়োজন এমন সব রোগই তারে ধরল??ব্যাপারটা খুব বেশি কাকতালীয় হয়ে গেলনা?? আর কিছু বললাম না,ব্যক্তিগত অভিমত দিলাম,কারো ভালো লাগতে পারে কারো নাও লাগতে পারে।আশা করি লেখকের সামনের লেখাগুলো আরো ভালো হবে।
Thriller
1
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা বই-চিতা রহস্য লেখক-ইমদাদুল হক মিলন ধরন-কিশোর থ্রিলার পৃষ্ঠা-৮০ মূল্য-১২০ অনন্যা প্রকাশনী .... ছেলেটার নাম সায়েদুল হক। ডাক নাম খোকন। সে ওয়েস্ট এন্ড হাইস্কুলে সেভেনে পড়ে। তার গোয়েন্দা হবার শখ। সত্যজিৎ রায়ের ফেলুদা তার প্রিয় চরিত্র। ফেলুদার কাহিনী পড়তে পড়তে সে মুগ্ধ। আমার মতো তারও বাবা নেই। আর একটা ব্যপারে মিল আছে তাহলো আমার ভাইয়ের মতো তার ভাই তাকে গল্পের বই পড়া শিখেয়েছিল। পড়ার বইয়ের ফাকে ফাকে গল্পের বই পড়ে আর ফেলুদা হওয়ার স্বপ্ন দেখে খোকন। গোয়েন্দা হতে হলে অনেক কিছু জানতে হবে। আর তাই সে অনেক চর্চা করে। নিজের মন থেকে ভয় সরাতে চেষ্টা করে। রাত জেগে থাকে। তার একটা কুকুর আছে তার নাম জিমি। মাঝে মাঝে তার ফেলুদা হতে ভীষণ ইচ্ছা করে তখন তার মাথায় আসে, তার যে রিভলবার নেই। কিন্তু সে হতাশ হয় না। তার কুকুর জিমি ঘেউ করলে রিভলবার এর মতো শব্দ হয়। কুকুরটা তার সব কথা শুনে। এই সব ভেবে ভেবে ফেলুদার বই গুলোর দিকে তাকিয়ে সে রাতে ঘুমাতে যায়। বই গুলোর ভেতর ফেলুদা আছে। ঘুমানোর আগে সে ফেলুদাকেকে গুড নাইট বলে। মে মাসের ১২ তারিখ তার স্কুল বন্ধ হয়। গ্রীষ্মের ছুটি। খোকন ভেবেছে সে তার নানাবাড়ি বেড়াতে যাবে।তার খালাত ভাই ডাবলু তাকে নিয়ে যায়।সাথে যায় তাদের বাড়ির কাজের ছেলে বারেক। যাওয়ার সময় গোয়েন্দাগিরির যন্ত্রপাতি আর সত্যজিৎরায়ের বই নিতে ভুলে না। তারা যাবে বিক্রমপুর। ঢাকা থেকে লঞ্চে। এতকিছুর মধ্যে খোকন জিমির কথা ভুলে গেল। যাওয়ার সময় জিমি তো মোটেও খোকনের পিছু ছাড়ল না। শেষে অনেক ঝামেলা করে তাকেও সাথে নেওয়া হল। নানু বাড়িতে এসে খোকনের তো আদর বেড়ে গেল।বেশ ভালই কাটতে লাগল খোকনের সময়। বিকালে বাইরে যাওয়ার সময় তার নানী তাকে ডেকে বলল জানোয়ার দেখা গেছে, ও পাড়ার তিনজনকে সেদিন মেরেছে। শুনে রক্ত হিম হয়ে যায় খোকনের। কিন্তু কিছু পরেই সে নিজেকে ফেলুদা ভাবে। সে একজন গোয়েন্দা হবে, তার কি এভাবে ভয় পেলে চলে নাকি। সে এ সম্পর্কে খোজ নিল।তার মাথা ভরতি ভাবনা। পর দিন আবার শোনা যায় একই কথা। সব শুনে নানী তাকে ঢাকায় ফেরত পাঠাতে চাচ্ছেন। কিন্তু খোকন এর মনে অন্য কিছু সে ভাবছে। দেখা উচিৎ এটা বাঘ না ভাল্লুক। ডাবলুদা প্রথমে রাজি হয় না। পরে বারেক এর উৎসাহে ডাবলু রাজি হয়ে যায়। খোকনের তো খুশিতে নাচতে ইচ্ছা করছে কেন না জীবনে প্রথমবার সে আসল গোয়েন্দাদের মতো কাজ করবে। সেই সাথে শুরু হয় তাদের গোয়েন্দা গিরি। রহস্যের কিনারা খোকন কিভাবে করলো সেটা তো মারাত্মক ইতিহাস। বহু ঝামেলা উৎরিয়ে খোকন রহস্যের ধারে পৌছেছিলো বলা যায়। কিশোর দের জন্য টান টান উত্তেজনা । এক বার শিকার সামনে আসে তো দশ বার পিছিয়ে যায়। সেই আবার সবশক্তি দিয়ে শিকারের উপর ঝাপিয়ে পড়তে হয়েছিলো গোয়েন্দাদের। রহস্য তো আর যেই সেই না। এটা ছিলো চিতা রহস্য! গেলো তো এত কিছু, পুরো বই পড়ে উপসংহারে এসে লেখা গুলো পড়ে খোকনের মতো আমিও ফাটা বেলুন হয়ে গিয়ছিলাম। কেন তা শুধু মাত্র পাঠক কূল জানার অধিকার রাখেন। বেশ উপভোগ করেছিলাম পুরোটা সময়। বিশেষ করে জিমিকে মনে থাকবে।
Childrens-Book
2
#রিভিউ বইঃ ভেন্ট্রিলোকুইস্ট লেখকঃ মাশুদুল হক প্রকাশকঃ বাতিঘর প্রকাশনী ধরণঃ থ্রিলার ও অ্যাডভেঞ্চার উপন্যাস পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ ১৯২ মূল্যঃ ১৪০ টাকা (রকমারি) সার-সংক্ষেপঃ বিয়ের অনুষ্ঠানে অনেকদিন পর দেখা হয়ে যায় পুরনো বন্ধুদের, দুই বন্ধু নৃতাত্ত্বিক মারুফ এবং পত্রিকার ফিচার এডিটর রুমি কথা প্রসঙ্গে জানতে পারে তাদেরই আরেক বন্ধু পেশা হিসেবে নিয়েছে ভেন্ট্রিলোকুইজম। কৌতূহলী হয়ে সেটার কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে ওরা জড়িয়ে পড়ে দারুণ রহস্যময় এক অনুসন্ধানে, বেরিয়ে আসে ভয়ংকর আর শিউরে উঠবার মত সব সত্য, সাধারণ মানুষকে কখনোই জানতে দেয়া হয় না এমন সব পরীক্ষা-নিরীক্ষা আর বহু বছর আগে হারিয়ে যাওয়া এক সম্প্রদায়ের কথা। যার পদে পদে ওদের জন্য ওৎ পেতে আছে মৃত্যুগামী বিপদ, অভাবনীয় বিস্ময়, জড়িত আছে ঘনিষ্ঠ কিছু মানুষের জীবন, এক ভয়ংকর ষড়যন্ত্র । ভেন্ট্রিলোকুইস্ট শুধু একটি উপন্যাসই নয়, পাঠকদের জন্য ইতিহাস, স্থাপত্য, গণিত, ধর্মতত্ত্ব আর বিজ্ঞানের এক অভূতপূর্ব যাত্রা। পাঠ-প্রতিক্রিয়াঃ ভেন্ট্রিলোকুইজম (Ventriloquism) বা মায়াস্বর বলতে এক ধরণের শব্দশিল্পকে বোঝানো হয়। একজন মায়াস্বরবিদ মঞ্চে এমনভাবে তার কণ্ঠকে ব্যবহার করেন যাতে মনে হয় যে অন্য কোনও উৎস থেকে (সাধারণত মায়াস্বরবিদের হাতে থাকা পুতুলের মুখ থেকে) শব্দটি আসছে। এটি এক ধরণের ধর্মীয় সংস্কৃতি। ইংরেজি Ventriloquism এসেছে লাতিন venter (পেট) এবং loqui (কথা) থেকে। নামটির অর্থ অনেকটা এরকম- 'পেটের অন্তরাল থেকে কথা'। এই কথাকে মায়াস্বরবিদের পেটের অন্তরালে আশ্রয় নেওয়া প্রেতের কাছ থেকে আসা বাণী হিসাবে কল্পনা করা হত। এই মায়াস্বরবিদেরা প্রেতেদের সাথে যোগাযোগ করতে পারতেন বলে ভাবা হত এবং এরা সাধারণত ভবিষ্যদ্বাণীও করতেন। সাহিত্যে কিছু সময়ে মায়াস্বরের উল্লেখের ক্ষেত্রে দেখা যায়, মায়াস্বরবিদ তার কন্ঠকে দূরে কোন একটি স্থানে ছুঁড়ে দিলেন। সাহিত্যের খাতিরে ব্যবহৃত হলেও এটি বাস্তব নয়। মায়াস্বরবিদের কথাগুলো সবসময়েই তার কন্ঠ থেকে নির্গত হয়। মানব মস্তিষ্কে দৃশ্যমান আলো এবং শব্দ একই সাথে বিশ্লেষিত হয়। এই দৃশ্যমান ঘটনাবলী এবং অবস্থানের মাঝে মায়াস্বরবিদ কিছু ছদ্ম দিকনির্দেশ করেন বলে শব্দের উৎপত্তিস্থানের অবস্থান নিয়ে ভ্রান্তি তৈরি হয়। এই ভ্রান্তি তৈরির সামগ্রিক প্রক্রিয়াটির নামই মায়াস্বর বা ভেন্ট্রিলোকুইজম। এবার শুরু করছি মূল রিভিউ। ভেন্ট্রিলোকুইস্ট গল্পের শুরুটা হয় একটি বিয়ের অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে। বন্ধুর বিয়ের অনুষ্ঠানে অনেকদিন পর দেখা হয় পুরানো বন্ধু মারুফ, রুমি এবং হাসানের। হাসানের মাধ্যমে তারা জানতে পারে তাদেরই এক পুরানো বন্ধু শওকত পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছে ভেন্ট্রিলোকুইজম। সেইরাতেই শওকতের প্রদর্শনীতে গেল তারা। শওকতের সাথে দেখা হওয়ার পর তারা দেখল তাদের বন্ধুর আমূল পরিবর্তন। ভেন্ট্রিলোকুইজম নিয়ে আগ্রহ থাকার কারনে এবং শওকতের কাছ থেকে ব্ল্যাক ম্যাজিকের আভাস পেয়ে দুই বন্ধু জড়িয়ে পড়ল এক বিচিত্র রহস্যময় অনুসন্ধানে। তারপর আর কি? আস্তে আস্তে বেরিয়ে আসতে থাকলো সত্য। বেরিয়ে আসলো শত বছরের হারিয়ে যাওয়া এক সম্প্রদায়ের কথা, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঘটে যাওয়া কিছু নৃশংসতার কথা। একের পর এক বিপদের মুখোমুখি হতে থাকলো মারুফ আর রুমি। চারিদিকে শত্রু। আবিষ্কার করলো, ভয়ানক এক ষড়যন্ত্রের জালে ফেঁসে গেছে তারা! তরুণ লেখক মাশুদুল হকের প্রথম উপন্যাস এটি। সে হিসেবে দূর্দান্ত লেখা। বইটির প্রকাশকাল ফেব্রুয়ারি, ২০১৩। সে সময় বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এধরণের লেখা এটিই প্রথম। এর আগে এধরণের কনসেপ্ট নিয়ে তেমন একটা উল্লেখযোগ্য কাজ কাউকে করতে দেখিনি। তার উপর মৌলিক থ্রিলার! বিশাল ব্যাপার। সেই দিক থেকে লেখক গালভরা প্রশংসার যোগ্য। মোটামুটি ভালোই দক্ষতার সাথে কাজ দেখিয়েছেন, যা প্রথম উপন্যাস হিসেবে আশাতীত। তবে গল্পের কয়েকটি ব্যাপারে লেখক আরেকটু যত্নশীল হলে ভালো করতেন। যেমনঃ # গল্পে শওকতের ক্যারেকটারটা আরেকটু ঘসামাজা করে লেখা উচিত ছিল। ভেন্ট্রিলোকুইস্ট হিসেবে আরেকটু রহস্যময়তা থাকা উচিত ছিল। # গল্পের জবানবন্দী অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মারুফের মুখ থেকে গেছে। যার ফলে অনেক জায়গাতেই তাকে একটু ইন্যাক্টিভ অবস্থায় দেখেছি। নিরপেক্ষতা নিতে গিয়ে ইন্যাক্টিভ হয়ে যাওয়াটা আমার কাছে কেমন যেন লেগেছে। # গল্পের গাঁথুনি গদ্যশৈলী বেশ ভালো ছিল। পরতে পরতে টুইস্ট ছিল। তবে শেষ দিকে লেখক হড়বড়িয়ে গেছেন। পুরো বইয়ের গতি শেষ দিকে এসে একটু স্তিমিত হতে দেখেছি। # গল্পে লেখক কিছু কিছু জায়গায় কিছুটা ভয়, কিছুটা গা ছমছমে ব্যাপার সৃষ্টি করার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সেই থিওরী তেমন ভালো দাগ কাটতে পারেনি বলে আমার মনে হয়েছে। তবে এতকিছুর পরেও ভেন্ট্রিকুইলিস্ট বেশ পাঠকপ্রিয় একটি বই। গল্পের ভেতর সিম্বলজি, ইতিহাস, গুপ্তসংঘ এরকম বেশ কিছু ইন্টারেস্টিং মাসলা আছে যা পাঠকমনের উদরপূর্তি করতে বেশ ভালোভাবেই সক্ষম! বইটির প্রচ্ছদটি বেশ সুন্দর। কিছূটা ভৌতিক ভৌতিক ভাব আছে। দেখতে বেশ আকর্ষনীয় লাগে। এছাড়া বইটির অন্যান্য বাহ্যিক দিক যেমন, কাগজের মান, ছাপা, বাধাই বেশ ভালো মানের। দামও সাধ্যের ভেতর। সবশেষে এটাই বলতে চাই, ভেন্ট্রিকুইলিস্ট বইটি বেশ আলোচিত একটি বই। পাঠকদের কাছে বেশ জনপ্রিয়। তাই যারা এখনো পড়েন নি, পড়ে ফেলুন। ঠকবেন না! রেটিংঃ ৪/৫
Thriller
1
one of the few books that makes you feel empty inside..
Fiction
0
বইয়ের নামঃঅসমাপ্ত আত্মজীবনী লেখকঃশেখ মুজিবুর রহমান প্রকাশনীঃদি ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেড মূল্যঃ ১৮৭ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ বইটির আবেদন বহুমাত্রিক। ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ শেষ পর্যন্ত শুধুমাত্র একটি আত্মজীবন ভিত্তিক বই হয়ে থাকেনি, হয়ে উঠেছে ১৯৩৯ থেকে ১৯৫৪-৫৫ সাল পর্যন্ত উপমহাদেশের বিশেষত পূর্ব বাংলার রাজনৈতিক ইতিহাসের অনবদ্য, নিরপেক্ষ, নির্মোহ দলিল; একজন হৃদয়বান নেতার এই অঞ্চলের সাধারণ মানুষের সমস্যাগুলোকে গভীরভাবে অনুধাবন করে সেসব সমাধানের সংগ্রামের অসাধারণ আখ্যান। অসাধারণ চড়াই-উৎরাইয়ে ভরা লেখকের জীবনের গল্প যে কোন রোমাঞ্চ উপন্যাসকেও হার মানায়। ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ বইটির পরিক্রমা মূলত দুইটি প্রধান কিন্তু সম্পূর্ণ ভিন্ন ধারায় প্রবাহিত। ধারা দুটো হল লেখকের রাজনৈতিক জীবন এবং লেখকের ব্যক্তিগত জীবন।এথেকে আবিষ্কার করতে পারি ব্যক্তি মুজিব কে। একজন সাহিত্যক না হয়েও যে এমন সাবলীল লেখনি লেখা যায় তার দৃষ্টান্ত বঙ্গবন্ধু।আজও যখন ৭ই মার্চের ভাষণ কর্ণপাত হয় শরীর শিহরিত হয়ে যায়। ঠিক তেমনি এই বইটি পড়েও বুকের ভেতর এক ভিন্ন রকম অনুভূতি জাগে। মাঠে-ঘাটে ঘুরে বেড়ানো এক সাধারণ বাঙালির এমন অসাধারণ কলম-কালির মহিমায় সত্যিই আমি অভিভূত।বইটি শুধু আত্মজীবনী নয়, এটি পাঠক ও ব্যাক্তি মুজিবের মধ্যে পরিচায়ক। যতবার বইটি পড়েছি আমার শরীর শিউরে উঠেছে। মনে হচ্ছিল মুজিব নিজেই কথা বলছেন পাশে বসে।
Political
3
এই বই মোট পাচঁটি গল্প নিয়ে তৈরী। আর বইয়ের গল্প কথক লেখক মুহম্মদ জাফর ইকবাল স্যার নিজেই। এক বিজ্ঞান সম্মেলনে অনিক লুম্বার সাথে তার পরিচয়। সেই বিজ্ঞান সম্মেলনে জাফর ইকবাল স্যারের দায়িত্ব ছিল নাম রেজিস্ট্রিশন করা। যখন অনিক লুম্বা আসে তার নাম রেজিস্ট্রিশন করতে তখন জাফর ইকবাল স্যার তার নাম "অনিক লুম্বা" দিয়ে রেজিস্ট্রিশন করান। কিন্তু পরে তিননি জানতে পারেন আসলে লোকটা বলেছিলো তার নাম অনেক লম্বা আর এই অনেক লম্বা থেকেই হয়ে গেলো বিজ্ঞানী অনিক লুম্বা। এরপরই জাফর ইকবাল স্যারের সাথে হয়ে গেলো তার খুব ভালো সম্পর্ক। কারণ তারা দুজনেই ভীষণ অগেছালো, আলাভোলা টাইপের মানুষ। তাই তাদের মাঝে প্রচন্ড মিল। সেই অনিক লুম্বার বাসায় এসে লেখক জানতে পারেন, অনিক লুম্বা মশা নিয়ে প্রজেক্ট করেন। সেই প্রজেক্ট নিয়েই দ্বিতীয় গল্প "মশা"! তারপরের গল্প ইদুরঁ নিয়ে। ইদুঁর নিয়ে এতো মজার গল্প হয় এই বই না পড়লে বুঝা যাবে না। শেষ দুই গল্প "কবি কিংকর চৌধুরী" এবং "জলকন্যা"। মজার মজার সব গল্প নিয়ে লেখা মুহম্মদ জাফর ইকবাল স্যারের "বিজ্ঞানী অনিক লুম্বা" বইটি!
Science-Fiction
4
কাহিনীঃ প্যালারাম বাড়ুজ্যে, ক্যাবলা মিত্তির,বাঙ্গাল হাবুল সেন আর তাদের দলপতি শ্রীমান ভজহরি মুখুজ্যে ওরফে টেনিদা। পটলডাঙ্গার চার মূর্তিমান। স্কুল ফাইনাল দিয়েছে। সবাই, কেউ একবারে পাস করবে, কেউ বাঁ বার দুয়েক দিয়েছে, পাস এবার করলেও করতে পারে। তবে শ্রীমান টেনিদা ক্লাস টেনে মনুমেন্ট হয়ে বসে আছে। কারো সাধ্য নেয় এক ইঞ্চি সরানোর। টেনিদার পাস-ফেল নিয়ে কত ব্যাখ্যা! তার ভাষ্যমতে “পাশ করতে না পারাটায় সবচেয়ে শক্ত” । এদিকে লেখক প্যালারাম টেনিদার যোগ্য সাগরেদ হতে পারেনি, হলেকি আর ছাক্কা ছত্রিশ মার্ক ঠিক অঙ্ক করত? টেনিদার অভিযোগ, লিখলই যদি কেটে কেন দিয়ে এল না? এদিকে ক্যাবলার বাড়িতে এই চার মুর্তিমানের নিমন্ত্রন । সের দুই মাংস, ডজন খানেক কাটলেট খাবার পর পারলে প্লেট গ্লাস ও খেয়ে ফেলেন টেনিদা। ক্রেনে করে তোলার চিন্তাভাবনা করছিল প্যালা। এদিকে সেদিন ক্যাবলার মেশোমশাই এর সঙ্গে এই চার জনের পরিচয় হল। মেশোমশাই ওদের কে রাঁচির কাছাকাছি একটা জায়গা তে যাবার পরামর্শ দিলেন, জায়গার সব ভালো শুধু “দানো” আছে। মহাসাহসী টেনিদা ভূত-দানো নিয়ে জ্ঞান দিতে দিতে হঠাৎ দেখলেন বাড়ির ছাদে দুটো জলজলে চোখ। অমানুষিক দুটো চোখ, অন্ধকারে জলজল করছে। সেই জলে জলে চোখের মালিক আর কেউ না, একজন “ মিয়্যাও” । তো নানা মহাভারতের কাহিনীর পরে আমাদের চার মূর্তিমান চলল সেই জায়গার উদ্দেশ্যে। যাবার পথে দেখা “স্বামী ঘুটঘুটানন্দ” নামের এক সাধু বাবার সাথে। তার গুরুর নাম ছিল “ডমরু-ঢক্কা-পট্টনানন্দ” প্রমুখ। এই ঘুটঘুটানন্দের “যোগসর্পের” হাড়ির সৎকার করে ফেলল এই চার জন, সেই রাতেই। জানতে চান কি ছিল সেই হাড়িতে? আর কি হয়েছিল শেষমেশ? জানতে হলে বইটা অবশ্যই পড়তে হবে। শেষমেশ তারা কাঙ্খিত জায়গা “ঝন্টিপাহাড়ি” তে পৌছাল, শুরু হল ভূতের উপদ্রব আর সেই সাথে তাদের রহস্য-রোমাঞ্চ(!!) অভিযান। টেনিদার সাথে অভিযানে যেতে চাইলে অবশ্যই বইটা পড়ে ফেলুন। পাঠ_প্রতিক্রিয়াঃ মুভিটা দেখা ছিল, আর টেনিদার ছোটগল্প পড়লেও এটা পড়া হয়নি। এখন পর্যন্ত হাসতেই আছি বইটা পড়ে। মজার কথা কি জানেন? টেনিদার অস্তিত্ব কিন্তু আসলেই ছিল। লেখকের প্রতিবেশী এক ভদ্রলোক, তাদের আড্ডা, তাদের জীবনের অনেক কাহিনীকে ঘষে-মেজে টেনিদা রূপে লেখক ফুটিয়ে তলেছেন। টেনিদার মত এত সুন্দর নির্মল হাসির খোরাক এখনকার বইতে কম পাওয়া যায়। টেনিদার মত এরকম এক জন যথেষ্ট একটা বই কে চালিয়ে নিতে। লেখক কিছু কথা এত সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন কিভাবে? ছোট্ট একটা উপন্যাস। কিন্তু প্রতি লাইনে হাসির কথা। বাকি উপন্যাস আর গল্পগুলোও পড়ব। ছোটবড় সবাই এক নিঃশ্বাসে পড়ে ফেলবে উপন্যাস। আর মন ভালো করার জন্য তো দুই বেলা পড়া উচিৎ টেনিদার বই। আমি এখন ও হাসছি। পটলডাঙ্গার এই চারমুর্তি কে দেখার ইচ্ছা আমার খুব। টেনিদা স্কুল ফাইনাল পাস করেছিল কিনা জানা দরকার! আহ, টেনিদার মত যদি সবাই বুঝত ফেল করাটা একটা আর্ট।
Childrens-Book
2
#রিভিউ - বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী/সাইন্স ফিকশন বইয়ের নাম - ক্রেনিয়াল লেখক - মুহম্মদ জাফর ইকবাল পৃষ্ঠা সংখ্যা -১৫২ পৃষ্ঠা প্রচ্ছদ - আহসান হাবীব প্রকাশক - তাম্রলিপি প্রকাশকাল - ফেব্রুয়ারি ২০১৬(প্রথম-চতুর্থ) মুল্য - ২৭০টাকা   রিভিউ - ক্রেনিয়াল!এই যন্ত্রটাকে ব্যবহার করা হয় মানুষের মস্তিষ্কের উন্নতির জন্য। একজন মানুষকে মুর্খ থেকে মহাজ্ঞানী বানিয়ে দিতে পারে এই যন্ত্র টা। কোয়ান্টাম কম্পিউটার যুগে মানুষকে স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে হয় না। ষোল বছর হয়ে গেছে মাথায় লাগিয়ে দেওয়া হয় ক্রেনিয়াল। আর তাতে কোনো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ছাড়াই তথ্য ইনপুটের মাধ্যমে মানুষ হয়ে যায় জ্ঞানী। ক্রেনিয়াল যন্ত্রের সাহায্যে শুরু তথ্য ইনপুট করা যায়। কিন্তু বাই-ক্রেনিয়াল যন্ত্রের সাহায্যে তথ্য ইনপুট ও আউটপুট দুই টাই করা যায়। ক্রেনিয়াল লাগানোর পরে মানুষের মনে থাকে অফুরন্ত শান্তি কোনো দুঃখ কষ্ট তাদের ধরতে পারে না। এখন কাহিনী হলো , কোয়ান্টাম কম্পিউটার যুগে আত্মঘাতী নিউক্লিয়ার বিস্ফোরণের কারণে মানব সভ্যতা ধ্বংস হয়ে গেছে। বেচে আছে অল্পসংখ্যক কিছু মানুষ। পৃথিবী ধ্বংসস্তুপে মধ্যে অল্পসংখ্যক মানুষ নিয়েই গড়ে ওঠেছে নতুন সভ্যতা। ষোল বছর হয়ে গেলেই মাথায় ক্রেনিয়াল লাগিয়ে দেওয়া হয়। তখন সে হয়ে ওঠে একজন গুরুত্বপূর্ণ নাগরিক। কেউ ক্রেনিয়াল লাগাতে না চাইলে বা কোনো বিষয় নিয়ে বেশি প্রশ্ন করলেই তাকে ডিটিউন করে দেওয়া হয়। তখন সে তৈরী হয় একটা মানবরোবটে। তার মস্তিষ্কে যে কাজ লোড করা হয় সে সেই কাজই করে। ক্রেনিয়ালে বিভিন্ন কাজ লোড করার জন্য আছে ক্রেনি-টিউব। ক্রেনি-টিউব লাগালে মানুষকে স্বাভাবিক থেকে শুরু করে দস্যু , খুনি এমন কি কুকুর পর্যন্ত বানানো যায়। এমন মস্তিষ্কহীন যন্ত্রচালিত এই পৃথিবীতে ক্রেনিয়াল লাগানোরা বিরুদ্ধে দাড়ালো এককিশোর ও এক কিশোরি। নাম রিহি আর টিশা। টিশা অনেক বুদ্ধিমান একজন মেয়ে। সে একজন বইপোকাও। ভিডি টিউবে সে অনেক বই পড়েছে। সে মনে করে ক্রেনিয়াল না লাগিয়েও শুধু বই পড়ে জ্ঞান অর্জন করা সম্ভব। টিশা তার বুদ্ধিতে ক্রেনিয়াল এবং বাই ক্রেনিয়াল সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করে। কমান্ড্যান্ট তা বুঝতে পারে এবং টিশাকে ডিটিউন করে দেওয়ার জন্য বলে। কিন্তু টিশা তার হাত কেটে পালিয়ে যায়। টিশার পালিয়ে যাওয়ার খবর পেয়ে রিহিও পালিয়ে যায়। ধুধু মরুভুমির বুকে রিহি অনেক কষ্টে টিশাকে খুজে পায়। আর তার পরেই জলদস্যুর একটা দল তাদের বন্দি করে। অবশ্য জলদস্যুর হাত থেকে তারা রক্ষা পায়। কি কারণে জলদস্যুরা টিশা আর রিহিকে ছেড়ে দেয়? জলদস্যুর হাত থেকে রক্ষা পেয়ে তারা যায় বিজ্ঞানী লিংলির শহরে। বিজ্ঞানি লিংলি হলো বাই-ক্রেনিয়াল এবং ক্রেনিপিউটারের জনক। ক্রেনিপিউটার হলো কম্পিউটারের মতো একটা যন্ত্র। বিজ্ঞানী লিংলির শহরেও টিশা আর রিহি বিপদে পড়লো। বিজ্ঞানী তাদেরকে ল্যাবরেটরিতে আটকে রেখেছে। তাদের মাথায় বাই-ক্রেনিয়াল লাগানোর জন্য। তারা কি পারবে মস্তিষ্কহীন যন্ত্রচালিত এই পৃথিবীকে আবার সুন্দর করে গড়ে তুলতে? নাকি তারাও মানবরোবট হয়ে যাবে? বইটার তৃতীয় পর্বে বাই-ক্রেনিয়াল আর ক্রেনিপিউটার কিভাবে কাজ করে সেটাও দেওয়া আছে। আশা করি বইটা সবার ভালো লাগবে। :-) বইটাতে আমার রেটিং - ৪/৫ ব্যক্তিগত মতামত - বইটা আমার কাছে ভালো লাগছে। বইটা নাকি কয়েকটা মুভির কপি পেস্ট। কিন্তু যেগুলা মুভির কপি পেস্ট সেগুলার মধ্যে আমি একটাও দেখিনি। হয়তো সে কারণে আমার কাছে বইটা মোটামুটি ভালোই লেগেছে। অবশেষে জাফর ইকবাল স্যারকে ধন্যবাদ বইটা আমাদের দেওয়ার জন্য। :-) :-) :-)
Science-Fiction
4
Good
Fiction
0
জাফর ইকবাল স্যার এর অন্যতম একটি সায়েন্স ফিকশন। কৃত্রিম উপায়ে জন্ম নেয়া একজন ছেলেকে নিয়ে এই বইটি যার জন্মের পর থেকেই পিঠে পাখির মত ডানা। পৃথিবীতে বাবা মায়ের থেকে আপন যে আর কিছু নেই তা লেখক এখানে ফুটিয়ে তুলেছেন। অপরের থেকে অন্যরকম হবার কারনে সবার কাছে সে নিগৃহীত। এক পর্যায়ে তার ডানা সম্পর্কে যখন সবাই জেনে যায়, তখন এক শ্রেণির উন্মাদ বিজ্ঞানীরা আসে তাকে মেরে ফেলতে এবং তাকে নিয়ে গবেষণা করতে। কিন্তু ছেলেটি বেঁচে থাকতে চায়। এবং এর পরে কি হয় তা জানার জন্য অবশ্যই আপনাকে বইটি পড়তে হবে।
Science-Fiction
4
অন্যসব দিনের মত সেদিনও হরিপদ লোকাল বাস ধরে রওনা দিয়েছিল অফিসে। বাস ছাড়তেই দেখে কখন যেন পিপলিও সাথে চলে এসেছে। এখন ওকে একলা রেখে তো আর অফিসে যাওয়া যায় না। অগত্যা আবার বাসায় ফিরতে হল। পিপলিকে চিনলে না। পিপলি।।। একটা ছোট্ট পিপড়া। হরিপদর অনেক আদরের পিপড়া। আরো আছে তেচু, নেপাল আর ফুডুক্কু। চিনলে না তো? পিপলি, ধেড়ে ইদুর নেপাল আর পাঁচপেয়ে তেলাপোকা তেচুকে নিয়ে হরিপদর সংসার। আর আছে উপর তলার ছোট্ট মেয়ে পরী। সত্যিই যেন একটা ফুটফুটে পরী। কিন্তু কঠিন এক অসুখে আক্রান্ত ছোট্ট মেয়ে পরী। অনেক অনেক টাকা লাগবে তার চিকিৎসায়। তবুও কি অনাবিল প্রাণোচ্ছন্দে মেয়েটা ভেসে বেড়ায়। হরিপদর কাছে তার একমাত্র দাবি একটা পিঙ্ক কালারের নেলপলিশ। আর কিচ্ছু চাইনা তার। সরকারি অফিসের সামান্য কর্মচারী হরিপদ। চুপচাপ কাজ করে আর একলা একলা বাসায় সময় কাটায়। তার আশেপাশের চরিত্রগুলো একেকটা একেকরকম। ভাল মন্দে মিলিয়ে কেটে যাচ্ছিল হরিপদর জীবন। এরপর একরাতে ঘুমিয়ে পড়ার সময় তার চোখের পর্দায় কী একটা উজ্জল আলো এসে পড়ল। এই আলোতে ঘুম তো ভাঙ্গলোই না বরং আরো আমেজে ঘুমিয়ে পড়ল হরিপদ। ঘুম ভেঙ্গে তার দেখা হল গেলিয়েনদের সাথে। গেলিয়েনরা এলিয়েনদেরই একটা প্রজাতি। তারা সবসময় মানুষের ভাল চায়। তাই তারা তাদের প্রতিনিধি হিসেবে হরিপদকে অতিমানবিয় শক্তি দিয়ে পৃথিবীর ভালোর জন্য পাঠাতে চায়। এত বড় দায়িত্ব কি নিতে পারবে হরিপদ? আর ক্ষমতাটাই বা কি? কি কাজ করতে হবে তাকে? আর এত সহজেই কি মানুষের সব দুঃখ দূর করা যাবে? অন্যের রিভিউ পড়ে বই খুব কমই কিনি আমি। এটা অনেকদিন পর নেয়া এমন একটা বই যা আমি এই গ্রুপের একজনের রিভিউ পড়ে নিলাম। হতাশ হইনি। প্রচ্ছদ থেকে কিশোরোপযোগী মনে হলেও এই লেখা বড়রাও নির্দিধায় পড়তে পারেন। খুব ভাল কিছু সময় নির্মল আনন্দে কাটানোর জন্য খুব উপযোগী। গেলিয়েন শব্দটা এই প্রথম শুনলাম। এলিয়েন আর গেলিয়েনদের বর্ণনা পড়ে খুব মজা পেয়েছি। "এই গেলি" এই তাচ্ছিল্যকর শব্দটা থেকেই গেলিয়েন শব্দের উৎপত্তি। আর তারা বাস করে অন্ড্রোমিতা গ্যালাক্সিতে, এন্ড্রোমিডা নয় কিন্তু। আশা আছে ভাল লাগবে সবার।।।
Science-Fiction
4
এ গ্রস্থ থেকে সাধারণত অজানা যে সব তথ্যের মধ্যে আছে- রিপোর্টের ভাষ্যমতে, পাকবাহিনীর কাপুরুষোচিত ও দুর্বল অবস্থান, নিদারুণ দুনীতি, বাঙালির উপর বাড়াবাড়ি রকমের শক্তিপ্রয়োগ ও গোলাবারুদের ব্যবহার, অগ্নিসংযোগ ও হত্যাযজ্ঞ, বাঙালি অফিসার ও সৈনিকদের হত্যা, লুট, নারীধর্ষণ ও নির্যাতন, হিন্দুহত্যা, পাকবাহিনীর কৌশলগত যার অধিকাংশই সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে যথার্থ ও ক্রিমিনাল অভিযোগ হিসেবে কমিশনের নিকট প্রতীয়মান হবার বিবরণ। তাছাড়া যুদ্ধসংকেতের ধারাক্রম অংশে আত্মসমর্পণের অব্যবহিত আগে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট, পাকিস্তানের চিফ অব পাকিস্তানের গভর্নর প্রমুখ পরস্পরের সাথে যে কিছু নমুনা সংযুক্ত করা হয়েছে। এইসব নমুনা এবং অন্যান্য যে সব তথ্য ও চিন্তা কমিশন তাদের রিপোর্টে প্রকাশ করেছেন তা সংশ্লিষ্ট বিষয়ের গবেষকদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত হবে বলে মনে হয় । বাংলাদেশের গৌরবোজ্জ্বল স্বাধীনতার ইতিহাস রচনার ক্ষেত্রে এগুলি হবে অবিচ্ছেদ্য অংশ। কিন্তু পাকিস্তানী শাসকদের জন্য হবে চিরকলঙ্কের সাক্ষ্য ।
War
5
প্রদীপে ঘসা দিলাম আর সাথে সাথে বের হয়ে আসল বিকটদর্শন এক দৈত্য। রঙ্গিন ধোঁয়ায় ভরে গেল ঘর। ভয়েতো প্রদীপের মালিক আধমরা! কিন্তু ভয় পেলে কি আর হুকুম করা যায়। ভয় কাটিয়ে যেই না দৈত্যকে হুকুম করলেন অমনি আসতে লাগল পছন্দের আশ্চয সব জিনিস! কি চেনা চেনা লাগছে? লাগারই কথা,আরব্যরজনীর আলাদিনের গল্পই বলছি। এরকমই একটা গল্প কিন্তু আমাদের দেশেও আছে,লিখেছেন মুহম্মদ জাফর ইকবাল স্যার। আর মানুষটা যেখানে জাফর ইকবাল সেখানে ভিন্ন কিছু আশা করাই যায়! গল্পে দেখা যায়, কিশোরী বয়সী মেয়ে টুসি। উচ্ছলতার জায়গায় নিসঙ্গতা তার সঙ্গী। একমাত্র বন্ধু আর একমাত্র আত্নীয় বলতে তার নানা। নানা মারা যাবার সময় তাকে দিয়ে কালচে রংয়ের অদ্ভুদ এক বোতল। নানার মৃত্যুর পর কোন আত্নীয় না থাকায় টুসির জায়গা হয় অচেনা এক পরিবারে। ওই পরিবারের একমাত্র ছেলে তপুকে শিষ্য বানিয়ে ফেলে টুসি। আজানা-অচেনা একপরিবারে শুরু হয় তার নতুন জীবন। একদিন আর কৌতুহল দমাতে না পেরে টুসি খুলে নানার দিয়ে যাওয়া অদ্ভুদ বোতলটি। তারপর বের হয়ে আসে জ্বীন! টুসি আর তপুতো জ্বীনটাকে বিশ্বাসই করতে চায় না! শেষে জ্বীন বেচারাকে নানান অদ্ভুদ কাজ করতে হয় ওদেরকে বিশ্বাস করাতে। এর মাঝে কিছু দুষ্ট লোক টুসিদের জ্বীন কাবিল কোহকাফীর কথা জেনে যায়। ওরা ধরে নিয়ে যায় জ্বীনটাকে। তারপর কাবিল কোহকাফীকে উদ্ধার করতে নেমে পড়ে টুসি আর তপু। শুরু হয়ে যায় শ্বাসরুদ্ধকর অ্যডভেঞ্চার। আর এ অ্যডভেঞ্চারেরর শেষ পযন্ত থাকতে আমাদের পড়তে হবে মুহম্মদ জাফর ইকবালের কাবিল কোহকাফী বইটি।
Childrens-Book
2
#রকমারি_বইপোকা_প্রকাশনা_রিভিউ_প্রতিযোগীতা। বই- পাশবিক। লেখক- কাজী আনোয়ার হোসেন। সহযোগী লেখক- কাজী মায়মূর হোসেন। সিরিজ- মাসুদ রানা। ধরন- ক্রেচার থৃলার। পৃষ্ঠা- প্রথম খন্ড(৩৪৭) দ্বিতীয় খন্ড(৩২৭) প্রকাশনী- সেবা। প্রধান চরিত্র- মাসুদ রানা, টম জেরাল্ড, হ্যাঙ্ক ডিগবার্ট, জিনা, ড. সিরাজউদ্দিন, কং তানামুরা, টড ওয়েইলার, ড. ডেভিড গ্রেবার, জেন্স সিমন্স, কর্ণেল ম্যাক্সমিলান, টিপা মুই, ড. নিনা সয়্যার। ইসরায়েলীদের বিষাক্ত ইনজেকশনের কারনে বছরের একটা বিশেষ সময় শারীরিক অসুস্থতায় ভুগতে হয় রানাকে। তাই বাধ্য হয়ে সেসময়টায় ছুটিতে গিয়ে অ্যাডভেঞ্চার টাইপ কাজ করে সময় কাটায় রানা। আর এভাবেই দক্ষ ট্র্যাকার হিসেবে চারদিকে সুনাম ছড়িয়ে পড়ে। এই সুনামের কারনেই তার কাছে সাহায্য চাইতে আসে কর্ণেল ম্যাক্সমিলান, ড. ডেভিড গ্রেবার ও রহস্যময় সিআইএ অফিসার জেন্স সিমন্স। এক বিকট দর্শন অদ্ভুত দানব আমেরিকার দুটি সামরিক ও বৈজ্ঞানিক ফ্যাসিলিটিতে হামলা চালিয়েছে। খুন করেছে একশোর মতো কমান্ডো সৈনিককে এবং তাদের মাংসও খেয়েছে। তারা রানাকে লিডার বানিয়ে একটা সুপার কিলিং টিম পাঠাতে চায় যাতে তারা দানবটাকে হত্যা করে আসতে পারে। অগত্যা কাজটা নেয় রানা। রানার টিমে বিশ্বের বিভিন্ন সফল শিকারী ও প্রাক্তন সৈনিকদের দেওয়া হয়। সেখানে আছে জিনা যে কিনা রাইফেলে অত্যন্ত ভালো। জাপানি তানামুরা ও টড ওয়েইলার। ব্রিটিশ সৈনিক প্রেষ্টন, বাড রলিন্স ও পৃথিবীর অন্যতম নামকরা জীববিজ্ঞানী ও জিনেটিক ইন্জিনিয়ার ড. সিরাজউদ্দিন। এছাড়া সাথে আছে হান্টার। রানার বডিগার্ড। একটি বিকট দর্শন দৈত্যাকার কালো নেকড়ে। যে অক্ষরে অক্ষরে রানার কথা শোনে। টিম নিয়ে নির্দিষ্ট প্রাণীর পিছু লাগে তারা। এবং তাদের প্রতি হামলাও হয় অতর্কিত। দানবটার অমানুষিক শক্তি দেখে বিস্মিত হয় রানা। কারন এর শারীরিক শক্তি একে ফুড চেইনের সবার ওপরে স্থান দেয়। অপরদিকে ড. সিরাজউদ্দিন বিস্মিত হন এই ভেবে যে এ ধরনের জন্তু তো দশহাজার বছর আগে গায়েব হয়ে গেছে। তাহলে এটা এখানে কেনো? ব্যাপার আরো ঘোলাটে করতে ওই দানব একসময় হাজির হয় রানার সামনে। রানাকে চরম অবাক করে দিয়ে কথা বলে রানার সাথে। এবং জানায় তার অভিলাস। সে শুধু খুন করতে চায়। আরো খুন করতে চায়। সমগ্র মানবজাতিকে মেরে খেতে চায় সে। এফবিআই থেকে টম জেরাল্ডকে দায়িত্ব দেওয়া হয় দুটো ফ্যাসিলিটিতে ঘটে যাওয়া গণখুনের তদন্ত করতে। সে তার প্রাক্তন মেন্টর হ্যাঙ্ক ডিগবার্ট যে পাথরভাঙা নামে পরিচিত তার সাহায্য নিয়ে তদন্তে এগিয়ে যায়। ড. সিরাজউদ্দিনের ল্যাব থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পায় সে যা তদন্তে সহায়তা করে। তবে এর প্রেক্ষিতে মারা যায় ড. সিরাজউদ্দিনের সহকারীনি ড. নিনা। মৃত্যুমুখে পড়ে আরেক সহকারীনি টিপা মুই। তাকে উদ্ধার করে জেরাল্ড ও পাথরভাঙা রওনা দেয় তৃতিয় আরেক ফ্যাসিলিটিতে যেখানে রয়েছে সমস্ত রহস্যের লুকানো উত্তর। আর এসবই নির্দেশ করছে রহস্যময় ড. ডেভিড ও জেন্স সিমন্সের দিকে। অপর দিকে সেই দানবও রওনা হয়েছে সেদিকে। তারও একটা বিশেষ জিনিস চাই। তবে তার আগে তাকে একটা অসমাপ্ত কাজ করতে হবে। মারতে হবে রানা ও তার কালো নেকড়ে হান্টারকে। কারন একমাত্রই এই দুজনই তাকে পর্যাপ্ত ব্যাথা দেবার ক্ষমতা রাখে। আসছে সে ফ্যাসিলিটিতে। তার সেই অমরত্বের সুধা দখল নেবার জন্য। পাশবিক রানার বেশ লেটেষ্ট একটা বই। দুই খন্ড মিলে বইটা বেশ বড় এবং শেষ করতে বেশ সময় লেগে যায়। এখানে গতানুগতিক রানাকে দেখা যায়নি। বরং সর্ম্পুন অন্য রানাকেই দেখা গেছে। এখানে তার পরিচয় একজন এজেন্টের বদলে একজন শিকারীই বেশী প্রকাশ পেয়েছে। পাশাপাশি তার বিসিআই পরিচয়ও ধরতে গেলে ব্যবহারই হয়নি। এখানে ফোকাস করা হয়েছে মূলত তার ট্র্যাকিং করার গুণাবলীকেই। চিরচেনা যে রানাকে আমরা চিনি তাকে এখানে তেমন একটা দেখতে পাইনি বলা যায়। অন্যান্য চরিত্রের মধ্যে ড. সিরাজউদ্দিনকে যেভাবে গুরুত্ব দিয়ে পরিচয় করানো হয়েছে তেমন ভূমিকা বইতে পাওয়া যায়নি। হান্টিং টিমের সাথে তারমতো বৃদ্ধকে পাঠানো অনেকটা বাস্তবতা বর্হিভূত বলে মনে হয়েছে। হান্টিং টিমের কোন উপকারে তিনি লেগেছেন বলে মনে হয়নি বরং তাদের অসুবিধারই সৃষ্টি করেছেন। যেমনটা আশা করেছিলাম তার থেকে দানবের ব্যাখাটা বের হবে তেমনটা ঘটেনি। বইয়ে রানাই অবশ্য একচ্ছত্র নায়ক নয়। বইতে টম জেরাল্ড ও পাথরভাঙারও রয়েছে নায়ক টাইটেল পাবার মতো ভূমিকা। এই দুটি চরিত্র পাঠকের বেশ পছন্দ হবে। দুটি চরিত্রই বেশ ডেডিকেটেড। বইতে তাদের দারুন ভূমিকা রয়েছে। বিশেষ করে বয়স হওয়া সত্তেও সাবেক মার্শাল পাথরভাঙা যেভাবে লড়াই করেছেন তা অসাধারন। আর দানবটিকে মারতে তারই ভূমিকা সবচেয়ে বেশী। পাশবিককে হরর বইও বলা যায়। কিছু অংশ আছে ভয় ধরানোর মতো। ভয়ঙ্কর সব হত্যার বর্ণনা। তবে বইতে বহু অপ্রয়োজনীয় অংশ আছে। দানবের একই চিন্তা ভাবনা ঘুরেফিরে বারবার উপস্থাপন করা হয়েছে। বইটি টেনে নেওয়া হয়েছে ধীর গতিতে। জেন্স সিমন্সের শেষদিক ছাড়া কোন ভূমিকাই রাখা হয়নি। এটা কোন প্রাচীন দানব তার নাম উল্লেখ্য করা হয়নি। শুধু দশহাজার বছর আগে এরা পৃথিবীতে ছিলো এতোটুকু তথ্যই এদের সর্ম্পকে দেওয়া হয়েছে। বিশাল এই বৈজ্ঞানিক ফ্যাসিলিটির পিছনে মূলহোতা কারা তাও ভালোমতো দেখানো হয়নি। বইতে নেকড়েটার বেশ গুরুত্ব থাকলেও শেষ অ্যাকশনে বেচারা বাদ পড়েছে। দানবটিকে দেখানো হয়েছে অতিরিক্ত ক্ষমতাশালী হিসেবে। বিসিআইকে একদম গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। অথচ যে বিপদে রানা পড়েছে তাতে বুড়োর সাথে কিন্তু তার কথা বলা উচিত ছিলো। আরো একটা জিনিস অসামন্জস্য লেগেছে। দানবটির গুলিতে কিছু হয়না কিন্তু ছোড়ার আঘাতে সে ব্যাথা পায়। এটা অদ্ভুত। ভালো লেগেছে রানার চিন্তাভাবনা। তবে রানাকে ছাপিয়েও ভালো লেগেছে টম জেরাল্ড ও তার মেন্টর পাথরভাঙা ডিগবার্টকে। হ্যাপি রিডিং। রেটিং- ৪.৮০/৫.০০
Thriller
1
বই: শঙ্খনীল কারাগার লেখক: হুমায়ূন আহমেদ প্রকাশক: অন্য প্রকাশ প্রকাশ কাল: বইমেলা ২০০৯ পৃষ্ঠা: ৮৫ প্রচ্ছদ: কাইয়ুম চৌধুরী মুদ্রিত মূল্য: ২০০৳ নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের জীবন উপজীব্য খুব সাদামাটা কাহিনী তবে যেন প্রতিদিনকার রুটিন মাফিক চিত্র চোখের সামনে ভাসমান শঙ্খনীল কারাগারে। বাবার বাড়ি থেকে চলে আসার পর আর তেমন কোন যোগাযোগ হয় নি খোকার মায়ের ২৩ বছরে। চার পয়সার দূরত্বে হাতের নাগালে থেকেও যেন অনেকটা দূরের ছিল সে সম্পর্ক। একদিন যেমন কোন শিকড়ের টান ছাড়া বাড়ি ছেড়ে চলে এসেছিল নিনুর জন্মের মধ্য দিয়ে সব টান আকারহীন করে সেখানেই নিশ্চিতে ঘুমিয়ে গেছে। মেয়েদের গায়ের ররং যতটা কালো হলে মায়েরা মেয়েদের শ্যামলা বলে তার থেকেও কালো ছিল রাবেয়া। তবে খুব লক্ষ্মীমন্ত মেয়ে, বাবার সংসারের হাল ধরতে গিয়ে নিজের কোন সংসার গড়া হয়নি। নিনুকে মানুষ করতে করতে মাতৃত্বের স্বাদ নিয়েছে। রুনু, ঝুনু, বাবা আর খোকার সংসারে যেন চাঁদের হাট ছিল। উত্তম পুরুষে বর্ণিত খোকার জীবনে হাজার সুখ অনেকটা অপ্রাপ্তি আবার এক চিলতে ভালবাসা ছিল খালাত বোন কিটকী। ছোট বেলার খুনসুটি থেকেই যেন মনের এককোনে ভালবাসার খুপরি ঘর বেঁধেছিল। মেয়েটাও হয়ত ভালবাসত খোকাকে তবে তা কেবল বড় ভাইয়ের স্থানেই তার অবস্থান। রুনু, ঝুনু যেন এক বিন্তের দুটো ফুল। একজনের হাসি কান্না যেন অন্যজনের চোখে মুখে মিশে একাকার। রুনুর প্রেমিক পুরুষের সাথে দেখা যায় ঝুনুর একসময় বিয়ে হয়ে যায়। কি এক অচানা রোগে রুনুটাও সকলের মায়া ত্যাগ করে মায়ের পথে পাড়ি জমায়। 'দিতে পার একশ ফানুস এনে? আজন্ম সলজ্জ সাধ একদিন আকাশে কিছু ফানুস উড়াই।' মন্টুর লেখা এ দু'চরণেই যেন পুরো উপন্যাসের কাহিনীটাই প্রকাশ পায়। প্রথম প্রথম নিজের লেখা নিয়ে লজ্জা সংকোচ থাকলেও বেশ কয়টি কবিতার বই বের হয় পুরস্কারও অাসে। এতকিছুর পরেও কোথায় যেন একটা সূক্ষ্ম শূণ্যতা ছিল। মায়ের বিয়ের ঘোর লাগা কাহিনীটা বরাবরই অস্পষ্ট ছিল। যা সুদীর্ঘ এক চিঠিতে খোলসা করে বড় বোন রাবেয়া, রাবেয়ার জন্ম পরিচয়ও সেই গোপনীয়তার একটা অংশ। প্রাঞ্জল কাহিনী অার অকপট বর্ণনাভঙ্গির মাত্র ৮৫ পৃষ্ঠার শঙ্খনীল কারাগার যেন সমাজের এক বাস্তব চিত্র।
Fiction
0
রাবেয়া চরিত্রটির মাঝে বাংলাদেশের যেকোন মধ্যবিত্ত ঘরের মেয়েই খুব সহজে নিজের ছায়া খুঁজে পেতে পারে, উপন্যাসের শেষ দিকে রাবেয়ার চিঠিটি কিভাবে যেন চোখের কোণে পানি এনে দেয়, বই এর শেষেও রাবেয়ার প্রতি সহানুভূতিটুকু মনে রয়ে যায় অনেকক্ষণ.........
Fiction
0
এক বিখ্যাত সিম্বলজিস্ট রবার্ট ল্যাংডন, হঠাৎ একদিন জ্ঞান ফি্রলে নিজেকে আবিষ্কার করেন ফ্লোরেন্সের একটা হসপিটালে ( সাজানো)। কি ঘটেছিল এবং কেন তিনি হসপিটালে এসব এর কিছুই তিনি মনে করতে পারেন না, স্মৃতিভ্রষ্ট ল্যাংডনের মাথায় ঘুরতে থাকে একটি কথা খোঁজো, খুঁজলেই পাবে। বাবা মার দেয়া প্রিয় মিকি মাউস ঘড়িটি খুঁজে পাননা, তার বদলে তার জামার পকেটে মেলে এক অদ্ভুত-ভীতিকর একটি জিনিস। তার কোনো ধারণাই নেই কোত্থেকে এটা এলো, শুধু বুঝতে পারেন তার মাথায় অপারেশান করা হয়েছে, তীব্র ব্যাথা নিয়েই তিনি পুড়া রহস্য কে তাড়া করে বেড়ান। তারপরই ঘটতে থাকে একের এক পর অদ্ভুত ঘটনা। এই সময় তার সাথে জড়িয়ে পড়ে তার ডক্টর, অদ্ভুত এক মেয়ে সিয়েনা। তারা দুজন রহস্যের সমাধান করতে থাকেন আর একটু একটু করে আবার জীবন বাঁচাতে পালিয়ে বেড়ান অবশেষে আসল সত্যটি জানতে পারেন তারা, যে কোন এক পাগল ব্যাক্তির কারনে পুরো মানবজাতি মারাত্মক এক হুমকির মুখে পড়ে দান্তে বিশেষজ্ঞ হিসেবে যেমন এই বই তে উনি আবির্ভুত হইছেন। লেখক বই এর শুরুতেই এক ব্যাক্তি ( ভিলেন) এর মৃত্যু এনে ঘটনাটাকে আকর্ষিত করেছেন পাঠকদের, যে কিনা দান্তের ইনফার্নো বই, একটা মুখোশ যার ভেতরে লুকানো আছে মূল রহস্য, এর মধ্য দিয়ে ক্লু রেখে গেছেন, মানব জাতি কে উদ্ধার এর জন্য, শুরুতে সিয়েনা ভিলেন এর নায়িকা থাকলেও এবং ল্যাংডন কে মারার চেষ্টা করলেও শেষ এ দেখা যায় যে তাহারা একে অপরের প্রেমে মগ্ন, সব মিলিয়ে খুব ভাল লেগেছে বইটি যদিও খুব ঠাণ্ডা মাথায় বইটি না পড়লে কাহিনি বুঝা টা কঠিন।
Thriller
1
হিমু আমার পছন্দের চরিত্র। মন খারাপ হলে হিমু পড়তাম কেমন যেন ম্যাজিকের মত হতো মন খারাপ যে কোথায় হারিয়ে যেত! সে আসে ধীরে কেনার একটা বিশেষ কারণ আছে।বই এর ফ্ল্যাপ এর প্রথম অংশটুকু আর বই এর শেষ লাইনটুকু আমার খুব ভাল লেগেছিল।যদিও বেশিরভাগ বই এর ফ্ল্যাপ দেখেই মুগ্ধ হয়েছিলাম।হিমুকে বিশ্লেষণ করার মত ক্ষমতা আমার নেই। হিমুর মধ্যে অলৌকিক কিছু একটা আছে যেটা অন্য কোন চরিত্রে নেই।হিমুর ভবিষ্যতে কি ঘটবে বা হতে পারে এটা অনুভব করার যে আধ্যাত্মিক ক্ষমতা রয়েছে সেটা সবসময় মুগ্ধ করে।মধ্যদুপুরে প্রচন্ড রোদে ক্লান্ত না হয়ে শান্তভাব নিয়ে হেঁটে চলা কোন এক গাছতলায় ঘুমিয়ে পড়া, যে কোন সিচুয়েশনে মাথা ঠান্ডা রাখা, সবাইকে আপন করে নেওয়ার মধ্য দিয়ে ফুটে উঠে তার সুখময় একটা চরিত্র।আমার কাছে হিমু মানেই মন ভাল, ফুরফুরে হয়ে যাওয়া।হিমুর বই পড়লে আমি একা একা প্রাণখুলে হাসতে পারি আর শেষে একটা শূন্যতা কাজ করে। এটা হুমায়ূন আহমেদ এর লেখার জাদু হতে পারে 3 সে আসে ধীরের চরিত্র গুলো হল হিমু,মাজেদা খালা,ছোট শিশু ইমরুল,হাবিবুর রহমান ফরিদা,মিসেস আসমা হক,ফজলুল আলম। বইটি পড়ে অনেক মজা পেয়েছি। কাহিনীর শুরু মাজেদা খালাকে নিয়ে এর পর অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী এক দম্পতির বাচ্চা দত্তক নিওয়া নিয়ে ঘটনা এগুতে থাকে।প্রত্যকটি অংশ হাসিয়েছে। সবচেয়ে বেশি হাসিয়েছে হিমুর খালুর ট্রীটমেন্ট করানোটা :D কিভাবে পীর সাহেব উনার ট্রীটমেন্ট করে এটা জানার জন্য হলেও বইটি পড়ে দেখা উচিৎ :) শেষটুকু পড়ে অবশ্য কান্নাও করেছি। হিমু যেমন হাসাতে পারে ঠিক তেমনি কাঁদাতেও পারে।সবার অবশ্য আমার মত কান্না আসবেনা :) সবার হিমুকে ভাল লাগেনা কারণ তাকে বোঝার ক্ষমতাটা সবার থাকেনা। হিমুর জন্য ভালবাসা 3 3
Fiction
0
জাপানের খুব বিখ্যাত একটা এনিমেটেড সিরিজ 'ওয়ান পিস'। সেই সিরিজে 'দ্যা ফোর' খ্যাত বিখ্যাত চার জলদস্যুর একজন হোয়াইটবেয়ার্ড। সে এত বেশি আগ্রাসী ছিল যে তার শরীরের সামনের ভাগে অজস্র ক্ষত থাকলেই তার পেছনে কোন দাগ নেই। সে যাই পেয়েছে ধ্বংস করেই সামনে এগিয়ে গিয়েছিল। . এতক্ষণ যা বলছিলাম তা সম্পূর্ণ এনিমেটেড হলেও পৃথিবীর বুকে একজন ছিলেন যিনি এমন কিছুও বাস্তব করে গিয়েছেন। তিনি এডল্ফ হিটলার। এমন একজন মানুষ যিনি কখনোই পিছু হটেননি। নিজের মতাদর্শ নিয়ে বলেছেন, সহস্রবার ভেবে পদক্ষেপ নিও। কিন্তু পদক্ষেপের পর একবারও ভাবতে বসোনা। তার এই কথার সম্পূর্ণ সত্যতা মিলে তার 'মাইন ক্যাম্ফ' বইয়ে। . ১৯২৪ সালে জেলবন্দী থাকাকালে তার লেখা বই 'মাইন ক্যাম্ফ'। একজন মানুষ ঠিক কতটা বিধ্বংসী, আগ্রাসী কিংবা নিষ্ঠুর হতে পারে বইয়ের প্রতিটি পৃষ্ঠায় যে কেউ তা বুঝে নিতে পারবেন। নিজের পিতার মৃত্যু নিয়ে তার কোনপ্রকার আক্ষেপ ছিলোই না বরং তিনি বলেছেন, 'এটা স্বস্তিদায়ক ছিল কারণ সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে আমার আর কোন চাপ রইলো না।' কৈশোরের শুরুতেই মা বাবা কে হারিয়ে হিটলার চলে আসেন ভিয়েনায়। দুবার পরীক্ষা দেন চিত্রশিল্পী হবার বাসনায়। অজ্ঞাত কারণে উপেক্ষিত হন অত্যন্ত প্রতিভাবান এই শিল্পী। বিশ্বযুদ্ধ শেষে তার আঁকা ছবি বিভিন্ন নিলামে তৎকালীন সময়ের রেকর্ড দামে বিক্রি করা হয়। সেদিন যদি ভিয়েনায় হিটলার চিত্রাঙ্কনের উপযুক্ত সুবিধা পেতেন তবে হয়ত ২য় বিশ্বযুদ্ধের বদলে পৃথিবী আরেকজন পাবলো পিকাসো বা লিওনার্দো দ্যা ভিঞ্চি কে দেখতে পেত। . পুরো বইজুড়ে একটা বিষয় সবচে লক্ষণীয়। হিটলারের পড়া আর জানার ব্যাপারে আগ্রহ। প্রচুর বইপত্র পড়ার অভ্যাস তাকে অনেক বড় কিছু চিন্তায় সাহায্য করেছিল। যদিও হিটলারের চিন্তা বিশ্বকে ভাল কিছু দিতে পারেনি তবে তার মেধা কত বেশি প্রখর ছিল তা 'মাইন ক্যাম্ফ' বইয়ের সবটা জুড়ে আছে। হিটলারের জাতীয়তাবোধ প্রবল হলেও তা নেতিবাচক দিকে বেশি প্রবাহিত হতো। তার ভাষায়, 'জার্মানির উন্নতির অন্যতম শর্ত অস্ট্রিয়ান সভ্যতাকে ধুলোয় মিশিয়ে দেয়া'। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী শ্রমিক আন্দলন নিয়ে তার বক্তব্য ছিল, 'এরা কি মহৎ মানুষের দলে? যদি উত্তর না হয় তবে এদের জাতির সাথে যুক্ত হবার যোগ্যতা নেই। আর উত্তর হ্যা হলে এদের ন্যায় ইতর শ্রেণীর সংগ্রাম কর নিরর্থক।' ঠিক এভাবেই অকপটে হিটলার বলে গিয়েছেন ইহুদীবিদ্বেস, মার্ক্সবাদী তত্ত্বের বিপরীতে অবস্থান নেয়া সহ তার জীবনের সমস্ত ঘটনা। একটি কালো সত্যের খুঁটিনাটি। . পাঠ প্রতিক্রিয়া - . এক অর্থে বইটি পড়ে আমার ঘৃণা জেগেছে। একজন কিশোরের এমন বিদ্বেষপূর্ণ মন আর এত আগ্রাসী মনোভাব আমার কাছে ছিল আশাতীত। বইটির সবচে উল্লেখযোগ্য দিক এটি সত্য কে সত্য বলে উপস্থাপনা করেছে। বইটি একজন পাঠকের মনে বিষাদরেখা টেনে দিবে সত্য কিন্তু তার সাথে এও শিখাবে কিভাবে সংগ্রাম করে জীবনের পথে এগিয়ে যেতে হয়। জানাবে কেন ১৯১৮ সালের ক্ষত না শুকাতেই ১৯৩৯ সালে দৃশ্যপট দখলে নেয় অন্য আরেকটি বিশ্বযুদ্ধ। .... এক নজরে - বই - মাইন ক্যাম্ফ লেখক - এডল্ফ হিটলার অনুবাদ - মোহাম্মদ বিল্লাল হোসাইন প্রকাশ - নীলক্ষেত প্রকাশনা সোসাইটি দাম - ২২০/- রেটিং - ৩/৫।
War
5
রাজুর মনটা অনেক খারাপ। বড়রা কেন না বুঝে বাচ্চাদের মত ঝগড়া করে। তারা কি জানে না বাচ্চারা এই ঝগড়া দেখলে কতটা কস্ট পায়। তুচ্ছ কারনে আজ রাজুর বাবা মা ঝগড়া করে বাসা থেকে বেরিয়ে গেল। সাগরের মনে হয় সুবিধাই হয়েছে। কি সুন্দর ফ্রিজ খুলে চকলেট বের করে খাচ্ছে। ওর মনে কোন চিন্তাই নেই। বাসার এই মনখারাপ সময়টা হুট করেই কেটে গেল আজগর মামা আসার পর। হৈ-হুল্লোড় করে সময়টা মুহূর্তেই ভাল হয়ে গেছে। আরো মজা হলো যখন মামা বললেন রাজু আর সাগরকে মামার বাসায় নিয়ে যাবেন বেড়াতে। প্রথমে ট্রেন, তারপর পায়ে হেটে আবার বাস, তারপর পাহাড়ি রাস্তায় স্কুটারে খুব মজার একটা ভ্রমন শেষ করে অবশেষে ওরা মামার বাসায় এসে পৌছাল। কি সুন্দর ছায়াঢাকা, শান্ত সুন্দর এলাকায় থাকেন মামা। একে একে পাহাড়ি ঝর্ণা, জিন্দা আগুন সব দেখাবেন বলেছেন মামা। কিন্তু ঝর্ণা দেখে ফেরার পরেই দেখা গেল গ্রামের কতগুলো মানুষ এসেছে মামার কাছে। খুব জরুরী একটা কাজে এখনই মামার যেতে হবে। এদিকে রাজু আর সাগরকে ফেলে মামা কি করে যান? এদিকে তার কাজের লোক চান মিয়াও এখনও এসে পৌছাল না। তাই রাজু মামাকে অভয় দিয়ে বললো অল্প একটু সময়ের ব্যাপার, মামা যাতে চলে যান আর চান মিয়া এসে পড়লে তো আর কোন সমস্যা নেই।।। এদিকে একা একা রাজু আর সাগরের সময় তো আর কাটে না। তাই তারা দুজনে মিলেই ঘুরতে বের হলো। তখন তাদের দেখা হলো আগুনালির সাথে। আসল নাম তৈয়ব আলি কিন্তু আগুন নিয়ে তার খেলার জন্য সবাই তার নাম দিয়েছে আগুনালি। আগুনালি চ্যালেঞ্জ করে রাজুকে যে সে ভূত আছে সেটা প্রমাণ করে দেখাবে। এই এলাকায় নাহার মঞ্জিল নামে একটা বড় বাড়ি ছিল। সেই বাড়িতে থাকত এলাকার বড় রাজাকার কাশেম আলি চৌধুরী। তখন সেই বাড়িতে মিলিটারি ঘাটি ছিল। অনেক মানুষকে ধরে নিয়ে যেত সেখানে, অত্যাচার করে মারত। এমনকি অনেক মেয়েদেরকেও ধরে নিয়ে যেত সেখানে। রাত গভীর হলে সেখানে আজো মানুষের চিৎকার শোনা যায়, কথা শোনা যায়, আর ছায়া ছায়া কি যেন দেখা যায়। দেখাতে নিয়েও যায় রাজুকে। রাজু আসলে কি দেখেছিল? ভূত??? আসলেই কি ভূত বলে কিছু আছে??? নাকি এর মাঝে অন্য কিছু ঘটনা আছে??? আমার কথা : রাজু ও আগুনালির ভূত প্রথম পড়েছিলাম সম্ভবতঃ যখন আমি ৭ম বা ৮ম শ্রেণীতে পড়ি। মুহম্মদ জাফর ইকবালের আর পাঁচটা কিশোর উপন্যাসের মতই আকর্ষণীয় আর ঘটনাবহুল। রাজু, সাগর আর তাদের বাবা মা বরাবরের মতোই দারুণ। মাঝেমাঝেই আমার আফসোস হতো কেন আমার পরিবারটা এমন না। কেন এত ভালবাসাময় আর ঝগড়ুটে পরিবার আমার নাই। আর মামার তো জবাবই নাই। তবে এত ছোট দুটা বাচ্চাকে রেখে যত জরুরি কাজ হোক না কেন চলে যাওয়াটা ঠিক ভাল লাগে নাই। তবে মামা চলে না গেলে এমন একটা অভিযান তো আর হত না, তাই এটাই বাদ দিলাম। আগুনালি তো ফাটাফাটি টাইপ একটা চরিত্র। এত ছোট একটা ছেলে যে কিনা আগুনকে এত ভালবাসে যে তার নামটাই হয়ে গেল আগুনালি কি মজার না ব্যাপারটা??? তবে সবচেয়ে বেশি বিরক্তিকর যে ব্যাপারটা সেটা হল দাড়িওলা হুজুরটাইপ ব্যক্তি মানেই তারা রাজাকার আর খারাপ লোক এটা সবজায়গায় মানা যায় না। আর ধর্মীয় বিধিনিষেধ মানা মানেই সমাজে পিছিয়ে যাওয়া এটা উনাকে কে শিখালো এটা আমার মাথায় ঢোকে না। ঘরের মাঝে বন্দি করে রাখা, লেখাপড়া করতে না দেয়া, অল্প বয়সে হুজুর কারো সাথে বিয়ে দেয়া, এই ব্যাপারগুলো আসবেই উনার লেখায় এ কেমন কথা? এ থেকে কি উনি বেরিয়ে আসতে পারেন না??? এইসব বাদ দিলে মোটের উপর খুব ভাল একটা অ্যাডভেঞ্চার ছিল পুরোটা। আর মোটরবাইক চালানো আর বন্দুক ঘাড়ে নিয়ে বের হওয়াটাও খুবই মজার ছিল। যদিওবা কিশোর অ্যাডভেঞ্চার হিসেবে একটু বেশি বেশিই হয়ে গিয়েছিল। ব্যাপার না।।। মাঝে মাঝে একটু আধটু বেশি না হলে জীবন চলবে কি করে??? হ্যাপি রিডিং।।।
Childrens-Book
2
সহজ ভাষা, সুন্দর শব্দ চয়ন, অভিনব নামকরণ- সব মিলিয়ে ভালো লেগেছে বেশ! আশা করব রাহাত রাস্তি চালিয়ে যাবেন। ধন্যবাদ রাহাত!
Fiction
0
গুজরাটে হিন্দুত্ববাদের উত্থানের ক্ষেত্রে নরেন্দ্র মোদি এবং প্রবীণ তোগাড়িয়ার নাম একসময় সমার্থক ছিল। নরেন্দ্র মোদি এবং ড. প্রবীণ তোগাড়িয়া একসঙ্গে রাজ্যের রাষ্ট্রীয় সেবক সংস্থার শাখাগুলিতে যেতেন। এ ব্যাপারে বহুশ্রুত একটা ঘটনা হল - এই দু’জন একবার সঙ্ঘের মতাদর্শ প্রচারের জন্য বাইকে বা স্কুটারে করে পুরো গুজরাট ঘুরে বেড়িয়েছিলেন। তোগাড়িয়া সবসময় বাইকটা চালাতেন আর মোদি পিছনে বসতেন। তোগাড়িয়া একজন ক্যান্সার সার্জন, ১৯৮৩ সালে বিশ্ব হিন্দু পরিষদে যোগ দেন তিনি। আর পূর্ণ সময়ের প্রচারক মোদি বিজেপিতে যোগ দেন ১৯৮৪ সালে। কেশুভাই প্যাটেল যখন মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন, তখন এরা দু’জনেই কোর কমিটিতে ছিলেন। এই কমিটিই সরকার পরিচালনা সংক্রান্ত যাবতীয় গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করত। শংকরসিং বাঘেলা যখন কেশুভাইয়ের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেন এবং তোগাড়িয়াকে জেলে পাঠান, তখন মোদি তাঁর পাশে দাঁড়ান। ১৯৯৫ থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত রাজ্য থেকে প্রায় নির্বাসিত ছিলেন মোদি, গুজরাটে সম্পূর্ণ অনাস্থাভাজন হয়ে উঠেছিলেন তিনি। তখন তিনি অধিকাংশ সময়টা কাটাতেন বিজেপি অফিসের বদলে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের অফিসে। সে সময় বিজেপি অফিসে কেউ তাকে পছন্দ করত না। একটা রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০০১ সালের অক্টোবর মাসে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মোদিকে গুজরাটে নিয়ে আসার জন্য তোগাড়িয়াকে রাজি করান আদবানি। এই পরিবর্তনটা মেনে নেন তোগাড়িয়া এবং নিজের ডান হাত গোরধন জাদাফিয়াকে মোদির মন্ত্রীসভায় অভ্যন্তরীণ বিষয়ক মন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত করেন। দলের পুলিশ অফিসারদের কোথায় কোথায় পোস্টিং দেওয়া হবে, সে ব্যাপারে তোগাড়িয়ার মতামত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। গোধরার ঘটনার পর ২০০২ সালের ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও বাজরং দলের কর্মীরা যখন সারা রাজ্য জুড়ে সন্ত্রাস সৃষ্টি করে, তখন এইসব পুলিশ অফিসারদের মধ্যে অনেকের ভূমিকাই অত্যন্ত সন্দেহজনক ছিল। হার্দিক প্যাটেল নামক প্যাটেল সম্প্রদায়ের ২১ বছর বয়সী একজন ত্রাণকর্তা সংরক্ষণের প্রশ্নে সারা রাজ্য অচল করে দেন। খাপ থেকে তলোয়ার বের করে একজন নিউজ রিপোর্টারকে হার্দিক বলেন, আজ পর্যন্ত তিনি কতজনের হাত কেটে নিয়েছেন রিপোর্টারটি তা জানেন কিনা। অনেকের ধারণা হার্দিককে সৃষ্টি করেছেন কেশুভাই প্যাটেল আর প্রবীণ তোগাড়িয়া, যাদের দু’জনকে পরে গুজরাটে প্রায় অপ্রাসঙ্গিক করে দেন মোদি। শোনা যায় গুজরাটের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী এবং মোদির ঘনিষ্ঠ সহযোগী আনন্দীবেনকে উৎখাত করার জন্যই হার্দিককে দাঁড় করানো হয়েছিল। আনন্দীবেন নিজেও একজন প্যাটেল। মোদি গুজরাটে প্রবেশ করার আগে কেশুভাই যে অবস্থায় ছিলেন, আনন্দীবেনও এখন ঠিক সেই অবস্থায় পড়েছেন।
Political
3
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা বই : বিজ্ঞানী সফদর আলীর মহা মহা আবিষ্কার। লেখক : মুহম্মদ জাফর ইকবাল পৃষ্ঠা :১৪৪ ধরণ: কিছুটা সায়েন্স ফিকশন মনে হয়েছে। মৃদ্রিত মুল্য : 200 (রকমারি.কম এ ১৭৬ টাকা) বইয়ের নামের সাথে সাথে কাজেরও অনেকটা বিচিত্রতা লক্ষ্য করা যায় ।বিজ্ঞানী সফদর আলী এক আজব মানুষ। তাকে শখের বিজ্ঞানীও বলা যায় । নানা বিস্ময়কর বৈজ্ঞানিক জিনিসের আবিষ্কারে তার আগ্রহ সীমাহীন । তার চিন্তাধারাও অন্যান্য রকম। বিজ্ঞানী সফদর আলীর সাথে লেখকের দেখা হয়েছে জিলিপি খেতে গিয়ে। । বিজ্ঞানী সফদর আলীল প্রতিটি কাজে রয়েছে বৈজ্ঞানিক চিন্তাধারার প্রতিফল। তিনি জিলিপি ঠান্ডা করার জন্য যেমন বিশেষ ধরণের ফ্যান ব্যবহার করেন আবার তেমনি বৃষ্টির সময় চশমার গ্লাসে পানি পড়লে দেখার সমস্যা যেন না হয় সেজন্য চশমার গ্লাসে গাড়ির মত ব্যবহার করেন থাকেন ওয়াইপার ।আবার ভিজা জামা কাপড় শুকানোর জন্য ব্যবহার করেন বাষ্পীভূত প্রক্রিয়া।যার মাধ্যমে নিমেশেই জামাকাপড় শুকনো হয়ে যায় ।আবার চোর ধরার যন্ত্র আবিষ্কার করেন। সফদর আলীর মনে করেন নাকি সংখ্যা দশ-ভিত্তিক না হয়ে ষোলভিত্তিক হওয়া দরকার, কেন হবে সেটাও বলেছেন। এভাবেই বিজ্ঞানী সফদর আলীর সাথে লেখকের অনেক ভাব জমে যায়।নানান প্রয়োজন তাদের মধ্যে টেলিগ্রাম আদান প্রদান হতে থাকে। কাচ্চি বিরিয়ানি,জংবাহাদুর ,গাছগাড়ি,পীরবাবা,হেরোইন-কারবারি, মোরগ ইত্যাদি বিষযগুলো নিয়ে বিজ্ঞানী সফদর আলীর নানান ধরনের আবিষ্কার নিয়ে লিখেছেন লেখক। #কাচ্চি বিরিয়ানি: যেহেতু তিনি বিজ্ঞানি সেহেতু সাধারণ মানুষের তুলনায় ওনার চিন্তাশক্তি একধাপ এগিয়ে।তিনি কাচ্ছি বিরিয়ানি রান্না করবেন তবে সেটা কোনো বাবুর্চি দিয়ে নয়, গিনিপিগ দিয়ে!!!অবাক করা কথা হলেও তিনি কম্পিউটারের কাজ করার লজিক খাটিয়ে গিনিপিক দের মাধ্যমে কাচ্ছি বিরিয়ানি রান্না করিয়েছেন। তারপর আবা্র, এই কাচ্ছি বিরিয়ানি রান্না নিয়েই পড়েন সমস্যায় । তারপর গল্পকথক ইকবাল স্যার এবং সফদর আলী দুজনের বুদ্ধিতে সমস্যার সমাধান করেন। #জংবাহাদুর : সফদর আলী বিজ্ঞানী মানুষ।ওনার দুইটি হাতে কোনো কাজ হয় না,ওনার চারটি হাত প্রয়োজন, কেন প্রয়োজন সেটাও বলেছেন।পরে অবশ্যই বুঝতে পেরেছন দুইটা হাতই ঠিক, তবে ওনার একজন সহকারী প্রয়োজন তবে সেটা কোনো মানুষ নয় ! সেটা বানর হতে হবে। বানরই হবে তার সহকারী। বানর খুজঁতেও অনেক হাস্যকর কান্ড ঘটে,একবার বানির খুজঁতে গিয়ে মহা হাসির কান্ড ঘটে ,একজন ব্যাক্তি সফদর আলীকে গালাগালি করে বলে ওনার গাঁয়ের চামরা দিয়ে নাকি জুতো বানাবে।তবে ওনি ওনার চামরা নিয়ে চিন্তিত না হয়ে ,” মানুষেল চামরা দিয়ে জুতা বানালে কতদিন টিকবে সেটা নিয়েই এক প্রকার গবেষনা করে বললেন, যে জিনিজ টিকবে না, সে জিনিজ বানিয়ে কি লাভ? মানুষের চামড়া পাতলা,সেটা এক সপ্তাহর বেশিও টিকবে না।” এরপর শেষ পযর্ন্ত একটা বানর পায়।যার নাম জংবাহাদুর।আবারসেই জংবাহাদুরকে নিয়েও অনেক কান্ডকারখানা ঘটে। #গাছগাড়ি :সফদর আলী রমর্না র্পাক গিয়ে নানা প্রকার গাছ দেখে ওনার মাথায় গাছ নিয়ে গবেষনার করা ইচ্ছা হলো। এবং তিনি গাছ গাড়ি বানাবেন। গাছগাড়িা অনেকটা এরকম যে, গাছ নিজে নিজেই রোদের কাছে যাবে, নিজেই নিজের খাদ্য তৈরি করবে, অর্থাৎ গাছ নিজের প্রয়োজনীয়তা নিজেই পূরণ করবে। বেশ কষ্টকর ব্যাপার হলেও, তবে সফদর আলীর মত বিজ্ঞানীর এটি তৈরি করা কোন ব্যাপারই দাঁড়ায়না।তিনি সেই গাছ গাড়িটা তৈরিও করেছেন। #পীরবাবা: মানুষের ভুল ধারণা ভাঙ্গাতে ইকবার স্যার আর সফদর আলীর বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাটা সত্যিই ভালো ছিল ।আর পীরের ভন্ডামী ধরার কৌশলটা অনেক হাস্যকর আর ধারুণ ছিল। ধর্মীয় বিশ্বাসী হওয়া উত্তম তবে অন্ধ ধর্মীয় পীর বিশ্বাসী হওয়া ক্ষতিকর।সকল অলৌকিক ক্ষমতা প্রযোগ করাটা আল্লাহর মাধ্যমেই এবং আল্লাহর ইচ্ছাই সম্ভব। #হিরোইন-কারবারি: প্রাকৃতিক ব্যস্ততার পর নিজেদের মনকে চা্ঙ্গা করার জন্য কিছুদিন রিলাক্স থাকা দরকার। সেই প্রেক্ষিতেই লেখক আর বিজ্ঞানী সফদর আলী কক্সবাজার পাড়ি জমান। তবে যেহেতু বিজ্ঞানী সেহেতু ভ্রমনের ক্ষেত্রেও ওনার বৈজ্ঞানিক ছোঁয়া বাদ পড়ে নি। ‍ভ্রমণের জন্যও তৈরি করে রেখেছেন ভ্রমণবন্দি, ইনফ্রায়েড চশমা আরো কতকি!!.... ওখানে রিলাক্স করতে গেলেও আর ওনাদের রিলাক্স করা আর পুরাপুরি হলো না।ছুটটে হলো হিরোইন কারবারিদের পিছনে।শেষ পযর্ন্ত সফদর আলীর অসাধারণ বৈজ্ঞানিক চিন্তাধারার আর কৌশলের মাধ্যমে ধরা পরলো হিরোইন কারবারির দল । #মোরগ:ইকবাল সাহেব এর অনুরোধে তৈরি করেন মোরগির ডিম থেকে বাচ্চা ফুটানোর ইনকিউবেটর যন্ত্র। মোরগের ইনকিউবেটরের সাহায্যে জন্ম নেয়া মোরগগুলো উপর আরো গবেষণা করে মোরগি গুলোকে আজব প্রকৃতি করে তুলেন ।কারণ মোরগি গুলো তখন আর সাধারণ মোরগি নেই!দেখতে অনেকটা পিশাচের মত হয়ে গেছে, যা দেখে ইকবাল সাহেব এই মোরগ গুলো দেখে অজ্ঞান হয়ে পড়ে যান।মজা ব্যাপার হলো মোরগদের সাহায্যেই একটা চোর ধরা পড়ে যায়,যে কিনা সফদর আলীর চোর ধরার যন্ত্র নিয়ে গিয়েছিল। #মন্তব্য:জাফর ইকবাল স্যার মানেই অন্যরকম বই হবে সেটা বলতে বাকি রাখে না। বইটিতে যেমন বৈজ্ঞানিক বিষয় নিয়ে ছিল তেমনি অনেক মজার বিষয় ছিল যা আপনাকে সত্যিই হাসাতে সাহায্য করবে ,সাথে কিছুটা ভ্রমণ গল্প ছিল,যা সত্যিই ভালো লেগেছে।
Science-Fiction
4
লেখিকার তৃতীয় উপন্যাস #ঋদ্ধি (আদর্শ) ঃঅতি সুন্দর !! অনেক গল্পের সমারোহ, ভিন্ন ভিন্ন সামাজিক অবস্থানের কিছু মানুষের স্বাভাবিক-অস্বাভাবিক (প্রতিটি চরিত্রেই এই রূপ আমাদের আশপাশ থেকেই নেয়া) আচরন ও গতিবিধি বর্ণনার সাথে মূল চরিত্র গুলোকে পজিটভ ভাবে তুলে ধরা হয়েছে। ঋদ্ধির স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা, বিভার জীবন সংগ্রাম ও ম্যারিয়ানোর কাছে ফিরে যাওয়া অতি সাম্প্রতিক বাস্তবতা। আর আগে তানজীনা ইয়াসমিন এর লেখা উপন্যাস #তোরসা (জাগৃতি প্রকাশনী)- ঃ প্রথম উপন্যাস হলেও লেখিকার সহজবোধ্য ভাষা ও গতিময় প্রেমের গল্প পাঠক হিসেবে আমাকে শেষ পৃষ্ঠা পর্যন্ত নিয়ে গেছে এক বসায়। দ্বিতীয় উপন্যাস #সিবতু এর গল্প জাপান বাংলাদেশ। অদ্ভুত রোমাঞ্চকর প্রেম কাহিনী, অনেক চড়াই উতরাই পেরিয়ে মিলনাত্মক রূপ পেয়েছে। লেখিকা এখানে কাহিনী বর্ণনার মাঝে কিছু ইতিহাসও বর্ণনা করেছে, যেটা গল্পের বাস্তবতার জন্য প্রয়োজন ছিলো। এই উপন্যসের প্রকাশনা করেছে - আদর্শ প্রকাশনী। প্রতিটি উপন্যাসে মিলনাত্মক পরিনতি পাঠককে স্বস্তি দিবে। ধন্যবাদ #রকমারি কে ঘরে বসেই বইগুলো পেয়েছি।
Fiction
0
মুহম্মদ জাফর ইকবাল কাহিনীর শুরুতেই ভুমিকায় লিখেছেন।কাহিনির শুরু।কিভাবে ঘটল সব। শরতের এক বিকেলে, আকাশ থেকে নেমে আসে একটা তুষার শুভ্র গোলক। অদ্ভুত সুন্দর সেই গোলকটি আচমকাই ফেটে পড় শহরের উপরে, চরম আক্রোশ নিয়ে। ওটা ছিল একটা মহাশক্তিশালী পারমানবিক বোমা। এরপর আর কিছু থেমে থাকেনি। মানুষরা যার যত মারমানবিক বোমা ছিল, সব নিয়ে ঝাপিয়ে পড়ে একে অন্যের উপরে। পরেরদিন সকাল হবার আগেই, লক্ষ বছরের মানবজাতি, হাজার হাজার বছরের মানব সভ্যতার সকল চিহ্ন ধুলায় মিশে গেল। বড় বড় যত নগর, বন্দর, বানিজ্যস্থল, সব গুড়িয়ে ধুলার মত উড়ে গেল। এখানে ওখানে, কিছু জায়গা বেচে গেল, চরম ক্ষতিকর তেজস্ক্রিয়তা থেকে মুক্ত এই এলাকাগুলোতে আশ্রয় বানিয়ে বেচে থাকে মানুষেরা। আকাশ, পানি, মাটি, খাবার.. সব বিষাক্ত তেজস্ক্রিয়তা দ্বারা। সবই নষ্ট হয়েছে, কিন্তু নষ্ট হয়ে যায়নি পৃথিবীজোড়া নেটওয়া‌র্ক, নষ্ট হয়ে যায়নি এই নেটওয়া‌র্কে ছড়িয়ে থাকা অসংখ্য নোড নিয়ে তৈরি হওয়া মহাশক্তিশালী কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা, গ্রুস্টান! এই ছোট ছোট বস্তি বানিয়ে থাকা মানুষগুলোর কাছে গ্রুস্টান তাই ঈশ্বরের মতই। আর গ্রুস্টান নামক কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তাও মানুষের উপরে নিজের ক্ষমতা যেন সেভাবেই জাহির করছে! কিন্কুতু কুশান নামে এক ছেলে একদিন স্শত্নয তা ব্কলে ফেলে। কুশান এর জীবনের হুমকি দেয়া হয় গ্রুস্টান এর বিরোধিতা করার জন্য, গ্রুস্টান যে কোন ঈশ্বর নয়, কেবল পৃথিবীব্যপী বিস্তৃত এক নেটওয়া‌র্ক অপারেটিং সিস্টেম এটা সবাইকে আবারো মনে করিয়ে দেবার জন্য। বসতির নিরাপদ আশ্রয় থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয় কুশান, আশ্রয় নিতে হয় তাকে মানুষ বসবাসের অযোগ্য, বিষাক্ত তেজস্ক্রিয় এলাকায়। কিন্তু মজার ব্যাপার হল অনেক্কেই কুশান কে সাপোর্ট করল। তারা কুশান কে খুজে বের করল। ভাবল কুশান নেত্রিত্ত দিবে গ্রুস্তান এর বিরুদ্ধে। কিন্তু কুশান নিজেই যে কিছু নবম শ্রেনীর রোবটের কাছে বন্দী। এদিকে কুশান দেখল রোবটদের দ্ধংস না করলে ন্য।কারন তারা টিয়ারা নামে এক মেয়ে কে ধরে এনেছে প্রীক্ষার জন্যে...এরপ্র কি হ্ল...একবার ধ্রলে আর রাখা যাবেনা বইটি এটি নিশ্চিত
Science-Fiction
4
প্রত্যেকটা মানুষের জীবনে অনেক আনন্দদায়ক বিষয় হল ভ্রমণ। ভ্রমনের কথা উঠলেই শুরু হয়ে যায় জল্পনা কল্পনা। ভ্রমণ নিয়ে প্লান হয় হাজার রকমের। কারো কারো তো রাতের ঘুম পর্যন্ত হয়না। এক শ্রেনী যেমন ভ্রমণের আনন্দ নিয়ে ব্যাস্ত দেখা যায় টাকা অপরদিকে পয়সার অভাবে তার বন্ধুই যেতে পারেনা। এ গল্পের কাহীনি ঠিক সেরকম পরিস্থিতির। একদল যুবক ঠিক করে তারা দারুচিনি দ্বীপ যাবে। সত্যি বলতে এই নামটা তাদেরই দেয়া। পিকনিকে যে কজন যাবে তার একজন শুভ্র। হুম ঠিকি ধরেছেন এই শুভ্র, শুভ্র সিরিজের গল্প। আমরা জানি শুভ্র ভালোমত চোখে দেখে না, পরিক্ষায় সবসময় ফার্স্ট হয়। এবং ক্লাসের লোকেরা তাকে কানা বাবা বলে ডাকে। শুভ্রর বাবার ধারনা শুভ্র সারা জীবন ঘরের কোনে বসে থাকার জন্য জন্ম নিয়েছে। এই শুভ্র যখন পিকনিকে যাওয়ার কথা বললো তার বাবা তো আকাশ থেকে পড়ল। তার বাবা আকার ইঙ্গিতে অনেক বোঝানোর চেষ্টা করেছেন শুভ্র যাতে পিকনিকে যায়, কিন্তু শুভ্র সেসব না শুনে এক প্রকার বাবার অমতে রিকশায় করে স্টেশনে যায়। শুভ্রর বাবা তাকে গাড়ি করে যেতে বলেছিল কিন্তু কে শোনে কার কথা ফলে শুভ্রর ওপর নেমে আসে ঘোর বিপদ এক্সিডেন্ট করে রিকশা। শুভ্রের এই কানা বাবার কারনে শুভ্রর কোন বন্ধুই তাকে ভ্রমনে নিতে রাজি নয় তাদের অমতেই তাদের সাথে যাচ্ছে শুভ্র। শুভ্র যে ভালো মতে চোখে দেখেনা এটা যেমন একটা কারন সেইসঙ্গে শুভ্র অনেক বড়লোক সেটাও একটা কারন। শুভ্রর বন্ধুরা শুধু শুভ্রকে নিয়ে যেতে রাজি নয় তানা বরং তারা কোন মেয়েকেও নিয়ে যেতে রাজি নয়। অথচ মেয়েরা যাবেই। সব মেয়েদের জীবনে আছে সব বিচিত্র ঘটনা। কোন ঘটনা দুঃখের কোনগুলো হাসির। গল্পে একজনের মৃত্যুর কথা লেখা আছে, তার মৃত্যু আমাকে ভীষন কষ্ট দিয়েছে। আপনি কি ভাবছেন এক্সিডেন্টে শুভ্র মারা গেছে? আচ্ছা পড়েই দেখেন কেমন লাগে।
Fiction
0
ফ্ল্যাপে লেখা কিছু কথা একটা কোম্পানি যত ভালো পণ্যই উৎপাদন করুক না কেন, বিক্রি করতে না পারলে সবকিছু অর্থহীন। আজকের দুনিয়ায় কোনো পণ্যই----- নয়; সবকিছু্রই বিকল্প আছে। সুতরাং পণ্যটি ঠিক সময়ে ঠিক জায়গায় উপস্থিত না থাকলে কাঙ্কিত বিক্রয় সম্ভব নয়।আজকাল ক্রেতা সাধারণ অপেক্ষাকৃত কম পরিশ্রমে সব পণ্য হাতের নাগালে পেতে চান।সেটা নিশ্চিত করাই বিক্রয়-পেশাজীবীর কাজ। এই বইটিতে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় কয়েকজন বিক্রয়-ব্যক্তিত্বের সাক্ষাৎকার সন্নিবেশিত করা হয়েছে। যারা শুধু স্ব স্ব ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিতই নয়, বরং বিক্রয় পেশার উৎকর্ষ সাধনে ক্রমাগত অবদান রেখে চলেছেন।তাঁদের অভিজ্ঞাতা, পরামর্শ এবং দিক-নির্দেশনা নিঃসন্দেহে নবীন-প্রবীণ বিক্রয়-পেশাজীবীদের চলার পথের পাথেয়। এছাড়াও বইটিতের বিক্রয় পেশাজীবীদের মানসিক দৃঢ়তা ও আচরণগত বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে, যা অনুসরণে আপনিও অনন্য এই পেশার শীর্ষে পৌঁছতে সক্ষম হবেন। বইটি শুধু পাঠ্য নয়, অবশ্যই সংগ্রহে রাখার মতো।
Motivational
6
প্রথমে টুনটুনি ও ছোটাচ্চু কিশোর উপন্যাসটি কিশোর আলো ম্যাগাজিনে পড়া শুরু করেছিলাম এবং শেষ ও করে ফেলেছি...যখন জানলাম বই বের হবে...তখন বইটি কিনে আবার পড়লাম ... উপন্যাস টি এত মজার যে বারবার পড়তে ইচ্ছা করে...জাফর ইকবাল স্যার এর লেখা অসাধারন...
Childrens-Book
2
#রকমারিরিভিউপ্রতিযোগিতা বই-তাজউদ্দিন আহমেদ:নেতা ও পিতা লেখক-শারমিন আহমেদ পৃষ্ঠা-৪৬০ মূল্য-৮৫০ ঐতিহ্য প্রকাশনী বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের পর যাদের নাম উচ্চারিত হয়। তারা হলেন চার নেতা-তাজউদ্দীন আহমদ, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, মোঃ মনসুর আলী এবং এ এইচ এম কামরুজ্জামান। আবার এই চার নেতার মধ্যে সব থেকে বেশি ধ্বনিত হয় যার নামটি তিনি হলেন তাজউদ্দীন আহমেদ। যিনি ছিলেন বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ও স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম নেতা। তিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় অস্থায়ী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব সাফল্যের সাথে পালন করেন। একজন সৎ ও মেধাবী রাজনীতিবিদ হিসেবে তাঁর পরিচিতি ছিল। মুজিব বিহীন এক দুর্দশাগ্রস্ত দেশের স্বাধীনতার দিক নির্দশনা দিয়েছেন। তিনি একজন মহান নেতা। ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর দেশ স্বাধীন হয়। স্বাধীন দেশে ১৯৭২ সালে শেখ মুজিব মুক্ত হয়ে ফিরে এসে শেখ মুজিব প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দ্বায়িত্ব গ্রহন করবার পর তিনি অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। ১৫ আগস্ট, ১৯৭৫-এ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে হত্যা করার পর হত্যাকারীদের নির্দেশে তাজউদ্দীন আহমদকে গৃহবন্দী করা হয়। ২৩ আগস্ট সামরিক আইনের অধীনে তাজউদ্দীন আহমদ-সহ ২০ জনকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হয়। ৩রা নভেম্বরে কারাগারের ভিতরে তাজউদ্দীন আহমদ, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, মোঃ মনসুর আলী এবং এ এইচ এম কামরুজ্জামানকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে জেলহত্যা নামে কুখ্যাত হয়ে আছে। বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে বিভিন্ন ভাবে এই মহান নেতা সম্পর্কে জানা হলেও ব্যক্তিগত ভাবে ততটা জানার সুযোগ হয়নি। সে সুযোগটা করে দিয়েছেন বলা যায় তার কন্যা শারমিন আহমেদ এর "তাজউদ্দীন আহমেদ :নেতা ও পিতা" বইটিতে। বইটির শুরু হয় মূলত ৬০ দশকের শুরু থেকে শেষ হয় ৭৫ এর তাজউদ্দীন হত্যা পর্যন্ত। সেই পরিসরে কন্যা হিসেবে পিতার স্মৃতিচারণ করেছেন শারমিন আহমেদ। তিনি যে সময় গুলো উল্ল্যেখ করেছেন তখন থেকে পূর্বপাকিস্তানের মানুষের মৌলিক চাহিদা নিশ্চিত করতে, লড়ে যাচ্ছিলো পূর্বপাকিস্তানের দেশকর্মীরা। আর সেই সময় শেখ মুজিব তাজউদ্দীন আহমেদকে এক বিশস্ত বন্ধু হিসেবে তার পাশে পান। তাজউদ্দীন আহমেদের রাজনীতিতে অবদান সমূহও তিনি বর্ণনা করেছেন। শারমিন আহমেদের কাছে তাজউদ্দীন মূলত আগে নেতা তারপর পিতা। পিতা হারা এক কন্যার পিতাকে নিয়ে বিভিন্ন স্মৃতির বর্ণনা করেছেন। বইয়ের অনেকটা অংশ জুড়ে বাবাকে নিয়ে তার শৈশব ও কৈশরের বর্ণনা। বাবা বিহীন পরিবারের সময়ের বর্ণনা। অনেক দুঃখ কষ্ট যন্ত্রণার স্মৃতিপট। যার একটু একটু করে উম্মেচন করেছেন লেখিকা। ব্যক্তিগত স্মৃতিচারণে উঠে আসে একজন মহান নেতার রাজনৈতিক কর্মকান্ড সমূহ। শেখ মুজিবের সাথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে পাকিস্তানি শাসক গোষ্ঠীর কাছে বাঙালির অধিকার দাবী আদায়ে তিনিও ছিলেন উচ্চ কন্ঠের অধিকারী। শেখ মুজিবের সাথে রাজনৈতিক কর্মকান্ড। একই সাথে পরিচালিত করেছেন বিভিন্ন সমস্যা সংক্রান্ত আলোচনা। স্বাধীনতার ঘোষক থেকে শুরু করে স্বাধীনতা আদায় পর্যন্ত তার সকল রাজনৈতিক কর্মকান্ডের বিবরণ। যখন মুজিব ছিলেন না মুজিব বিহীন বাংলার হাতল ধরে রেখেছিলেন তিনি। মুজিবের নামে যুদ্ধ শুরু হলেও সে যুদ্ধের দিক কর্তা হিসেবে তিনি নিয়োজিত ছিলেন। একসময় যুদ্ধ শেষ হয়। পূর্ব পাকিস্তান স্বাধীন হয়ে বাংলাদেশ নাম করন হয়। স্বাধীনতার নতুন সূর্যের আলো গায়ে মেখে বাংলার মানুষের দেখভালো করার দায়িত্বে নতুন সরকার গঠন এবং তিনি অর্থমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন। কিন্তু কোন একটা কারনে মুজিবের সাথে তাজউদ্দীন আহমেদের মতের অমিল হচ্ছিলো। তারই জের ধরে ৩০ বছরের বন্ধুকে মুজিব ভুল বুঝলেন। আর সে কারনেই ১৯৭৪ সালে তিনি সংসদ সদস্য হতে পদত্যাগ করেন। এত কিছুর পরও তিনি মুজিবের সর্বাঙ্গীন মঙ্গল কামনা করেছেন। ভেতর গত রাজনৈতিক কোন্দলে দুই জন দুই দিকে ছিটকে পড়েন। এই জায়গায় লেখিকার কিছু ক্ষোভ ঝড়ে পরেছে বোধহয়। তবু এটাও সত্যি তিনি বর্ণনা করতে গিয়ে ইতিহাসের কাছাকাছি থাকতে পেরেছেন। মুক্তিযুদ্ধের পর বাংলার রাজনীতির ভেতর দিয়ে আরো কিছু কোন্দল রাজনীতি চলতে থাকে মুজিবের আড়ালে। কিছু স্বার্থন্বেষী ব্যক্তি বর্গ পাকিস্তানি মনোভাব নিয়ে দেশের ভেতর আবার স্বাধীনতা বিরোধী কার্যক্রম শুরু করে। যার কিছুই টের পান নি শেখ মুজিব। তারই ফলশ্রুতিতে ১৯৭৫ এর আগস্টে কুচক্রীদের গাতে স্বপরিবারে নিহত হন শেখ মুজিব। তার আগেও তাজউদ্দীন আহমেদ মুজিবকে সাবধান হতে বলেছিলেন। কিন্তু বাঙালির উপর অগাধ বিশ্বাসের বলি হতে হয়েছিলো তাকে। এই বই লিখে শারমিন আহমেদ যথেষ্ট সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন। তার মতে তিনি দেখলেন যুদ্ধের অনেক পরেও যখন তাজউদ্দীন আহমেদ এর মতো একজন নেতা দেশের ইতিহাসের পাতা থেকে হারিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু তিনিই ছিলেন বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী। সেই অনুভূতিটাই তাকে এই বই লিখতএই অনুভূতিটাই তাকে এই বই লিখতে অনুপ্রেরণা জোগাতে চেষ্টা করে। তবে এটা নিয়ে সমালোচনার যথেষ্ট কারন ছিলো। কেননা তিনি এক জায়গায় বলেন, শেখ মুজিব স্বাধীনতার ঘোষনা দিতে রাজি ছিলেন না। কিন্তু তার জন্য তাজউদ্দীন তাকে চাপ প্রয়োগ করেছিলেন। এক সময় যদিও ঘোষনা দেওয়া হয়। কিন্তু ভাষ্য মতে এটা নেগেটিভ পর্যায়ে চলে যায়। তবে এখানে বোঝানোর মতো আরো অপশন আছে যেমন, শেখ মুজিব আলাদা পাকিস্তান না চাইলেও বাঙালির জন্য সার্বভৌম একটি দেশ চেয়েছেন। তিনি কখনও চান নি পাকিস্তানির সাথে বিরোধীতা করে ভারতের অনুকূলে থাকতে। আর সে কারনে পাকিস্তানির সাথে সরাসরি বিরোধীতাও চান নি। যাই হোক দেশ স্বাধীন হলো একসময়। কিন্তু আরো বিভিন্ন ঘটনাবলির কারনে দুজনে দুদিকে ছিটকে গেলেন। যদিও রাজনৈতিক দিক থেকে এই বই সমালোচিত হয়েছে। এবং অনেকের মতে শারমিন আহমেদ অর্ধেক শোনা কথা দিয়ে এই বইয়ের পৃষ্ঠা ছাপিয়েছেন। আমি ঠিক রাজনৈতিক কোন্দলের দিকে যাচ্ছি না। আমার কাছে একজন পিতা হারা কন্যার তার বাবাকে নিয়ে স্মৃতিচারণ মূলক পুস্তক হয়েই সমাদৃত হয়েছে।আমি যদিও ততোটা সমালোচনার কিছু পাইনি। কেন না ভুল শুদ্ধর উর্ধে নন কোন মানুষ। সে হিসেবে শেখ মুজিবের কোন সমালোচনাই কাজে লাগবে না তবে অবচেতন ভাবেও যদি শেখ মুজিবকে কোখাও খাটো ভাবে দেখানো হয় তবে আমাদের হুমায়ূন আজাদের কথাগুলো মনে রাখা উচিৎ। “একাত্তরজুড়ে যত কিছু ঘটেছে, বিশ্বে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের যত সংবাদ পৌঁছেছে, যত প্রচার হয়েছে, মুক্তিযোদ্ধারা যত সেতু উড়িয়ে দিয়েছে, যত পাকিস্তানি জন্তু বধ করেছে, যত বাঙালি নিহত হয়েছে, যত নারী লাঞ্ছিত হয়েছে, আর আমরা স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখেছি, তার সবটাই মুজিবের নামে। অন্য কোনো নামে এটা ঘটতে পারত না; অন্য কোনো নাম থেকে এ প্রেরণা উৎসারিত হত না। বাংলাদেশকে মুক্তিযুদ্ধে পৌঁছে দিয়েছিলেন মুজিব, বন্দি থেকেও তিনিই নিয়ন্ত্রণ করছিলেন মুক্তিযুদ্ধ, তিনিই সৃষ্টি করে চলছিলেন একটি স্বাধীন রাষ্ট্র। মুজিবকে আমরা প্রচণ্ড সমালোচনা করতে পারি, কয়েক দশক ধরে তো কোটি কোটি বামন প্রাণভরে তাঁর সমালোচনা করছে।” আর তাই শেখ মুজিবের স্থান বাঙালিদের কাছে আলাদা, যা কখনো কারো সমালোচনায় সরে যাবার মতো নয়। এটাও ঠিক তাজউদ্দীন আহমেদ এর স্থানও ঠিক আলাদা। এটাও সত্যি যে স্বপ্ন নিয়ে তাজউদ্দীন আহমেদ বাংলাদেশ স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখছিলেন। তার কোনটাই পূর্ণ হয় নি। তবে একজন রাজনৈতিক নেতা হিসেবে যুদ্ধ পরবর্তী অর্থমন্ত্রী হিসেবে একটি ধ্বংসপ্রাপ্ত দেশের অর্থনৈতিক পুনর্গঠনে সফলতা নিয়ে তর্ক থাকলেও তিনি কখনো নিজের একক চিন্তায় কোন দায়িত্ব রদবদল করেন নি। এমনকি তিনি এমন এক ইতিহাস রচনা করতে চেয়েছেন যে ইতিহাসের কোন পাতাতেই তার কোন নাম থাকবে না। আর তাই কোথাও কোন কিছুতে উনার নাম না থাকলেও কোন আপত্তি থাকবার কথা না। কেননা তিনি নিজেই এটা চাননি কখনো। তবুও বাংলাদেশের সবগুলো মুক্তিযুদ্ধ সচেতন নাগরিকের কাছে যেভাবে মুক্তিযুদ্ধের নাম লেপটে থাকবে ঠিক তেমনি তাজউদ্দীন আহমেদ এর নাম বারবারই উচ্চারিত হবে।
Political
3
জিমিনো গ্রহে অভিযানে এসে গিটোদের হাতে বন্দি হয়েছে নিলি। সে এখন বড় বড় চোখ করে ছুরিটার দিকে তাকিয়ে আছে। মৃত্যুর একেবারে কাছে সে। পৃথিবী থেকে অনেক অনেক দূরে জিমিনো গ্রহে তাকে যে এভাবে গিটোদের হাতে মৃত্যু বরণ করতে হবে কখনো ভাবতে পারেনি। প্রথমে সে সত্যি বিশ্বাস করতে পারেনি যে তাকে হত্যা করা হবে। চোখের সামনে ক্যাপ্টেনের মৃত্যু দেখে সে আর এখন অবিশ্বাস করতে পারছে না। স্বাভাবিক মৃত্যুতে তার কোন আপত্তি ছিলনা। কিন্তু মৃত্যুটা হবে অত্যন্ত নিষ্ঠুর আর যন্ত্রণাদায়ক। কারণ গিটোদের নিষ্ঠুরতা সে দেখেছে। গিটোদের মধ্যে সবচেয়ে নিষ্ঠুর জুজু। সেই জুজুই তাকে হত্যা করবে। জুজু এখন তার ছুরিটা আগুনে পুড়িয়ে লাল করে নিচ্ছে। তারপর ওই ছুড়ি দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে তাকে তিলে তিলে মারবে। সে যন্ত্রণায় যত চিৎকার করবে জুজু ততই উল্লসিত হবে, উল্লসিত হবে নারী-পুরুষ সহ সকল গিটো। কারণ সে মানুষ, গিটোদের চরম শত্রু। কেউ তাকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসবে না। রোবট ডিটি কিংবা স্পেসশিপে অপেক্ষমাণ অভিযাত্রী রাইবো, কেউ না। কারণ সবাই গিটোদের ভয়ে ভীত। গিটোরা হিংস্র, ভয়ঙ্কর, সত্যিই ভয়কর! শেষ পর্যন্ত কী ঘটেছিল নিলির ভাগ্যে? সত্যি কি সে নিজেকে রক্ষা করতে পেরেছিল মহাবিশ্বের সবচেয়ে হিংস্র প্রাণী গিটোদের হাত থেকে?
Science-Fiction
4
বা! চমৎকার খুব সুন্দর একটা বই
Fiction
0
গণ্ডির মধ্যে বন্দি বাংলাদেশের কিশোর-কিশোরীদের নতুন এক জীবনের স্বাদ দিয়েছে তিন গোয়েন্দা। তিন গোয়েন্দার সঙ্গে একটির পর একটি জটিল রহস্য ভেদ করে অনায়াসে ঝালিয়ে নেওয়া যায় নিজের বুদ্ধি। ঘরে বসেই বেড়িয়ে আসা যায় আমাজনের জঙ্গলের নরমুণ্ডু শিকারিদের গ্রাম কিংবা জলদস্যুদের দ্বীপ থেকে। বেলুনে চড়ে আকাশে উড়ে বেড়াতেও নেই মানা। আবার মুক্তার খোঁজে মুসা আমানের সঙ্গে ডুব দেওয়া যায় সাগরে। এমন রহস্য-রোমাঞ্চের জগতের হাতছানি কজনই বা এড়িয়ে যেতে পারে। তাই তো তিন গোয়েন্দা অন্য সবার চেয়ে আলাদা, সবার এত প্রিয়। গ্রীষ্মের তপ্ত দুপুরে, বৃষ্টিভেজা রাতে মোমবাতির আলোয়, কুয়াশাভরা শীতের রাতে লেপের নিচে আমি তাঁর সাথে হেঁটে বেড়িয়েছি কাশ্মীর, বার্লিন, মাদ্রিদ, নেপলস, প্যারিসের অলিগলি। মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছি বারবার। তবুও হাঁটা থামে নি আমার। কত বন্ধু পেলাম তাঁর কারণে। স্বর্ণহৃদয় রডরিক আর ল্যাম্পনি, ক্যান্সারাক্রান্ত মেজর ফজল মাহমুদ, অসহ্য মাইকেল সেভারস, মোচওয়ালা ক্যাপ্টেন মিশ্রী খান, লেফটেন্যান্ট আতাসী, ছোট বোনের মত লুবনা আভান্তি, হাতকাটা সোহেল আহমেদ, ফ্রেঞ্চকাট দাঁড়ির ভিনসেন্ট গগল, ‘লড়েচ কি মরেচ’ গিলটি মিয়া এবং অতি অবশ্যই কাঁচাপাকা ভুরুর সেই বুড়ো যার নাম রাহাত খান। তিন গোয়েন্দা ভলিউম-৪৮ (হারানো জাহাজ, শ্বাপদের চোখ, পোষা ডাইনোসর গোয়েন্দা কাহিনী । রাকিব হাসান বাংলাদেশের একজন গোয়েন্দা কাহিনী লেখক। তিনি সেবা প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত তিন গোয়েন্দা নামক গোয়েন্দা কাহিনীর স্রষ্টা। তিনি মূলত মূল নামে লেখালেখি করলেও জাফর চৌধুরী ছদ্মনামেও সেবা প্রকাশনীর রোমহর্ষক সিরিজ লিখে থাকেন। থ্রিলার এবং গোয়েন্দা গল্প লেখার পূর্বে তিনি অন্যান্য কাজে যুক্ত ছিলেন। তিনি রহস্যপত্রিকার একজন সহকারী সম্পাদক ছিলেন।রকিব হাসান শুধুমাত্র তিন গোয়েন্দারই ১৬০টি বই লিখেছেন। এছাড়া কমপক্ষে ৩০টি বই অনুবাদ করেছেন। তিনি টারজান সিরিজ এবং পুরো আরব্য রজনী অনুবাদ করেছেন। তাঁর প্রথম অনুবাদ গ্রন্থ ড্রাকুলা। রকিব হাসান লিখেছেন নাটকও। তিনি "হিমঘরে হানিমুন" নামে একটি নাটক রচনা করেন, যা টিভিতে সম্প্রচারিত হয়।
Thriller
1
প্রিয় রবি ভাই, আপনার উপন্যাস চন্দ্রমুখী নেয়ার জন্যেই এবার ঢাকার বইমেলায় যাওয়া। আমার জীবনের প্রথম বারের মত। থাকি সিলেটে, ঢাকায় তাই একটা হোটেলে উঠেছিলাম। রুমে ফিরেই গোসল করে ভাবলাম এক দুই পেইজ পড়ি; তারপর খেতে যাব... ওপরেই রেস্টুরেন্ট; সমস্যা হবার কথা না। ....যখন উঠলাম রাত বাজে আড়াইটা...এক বসায় পুরো বই শেষ....মনের ভেতরের যে অনুভবটুকু তা ব্যাখ্যা করা আপনার জন্যে যতটা সহজ, আমার পক্ষে ততোটা না। হোটেলের রেস্টুরেন্ট বন্ধ; পেটে প্রচন্ড ক্ষুধা নিয়ে সে রাতে আমি চুপচাপ বসে ছিলাম অনেকটা সময়। কেন? তা জানি না। ....অনেক ভালবাসা প্রিয় রবি ভাই; আপনি লিখে যান; আমরা খেয়ে না খেয়ে হলেও ভালবেসে যাব; কথা দিলাম। ❤️❤️
Fiction
0
সুন্দর বই
Fiction
0
#রবিজ_রকমারি_বুক_রিভিউ_কন্টেস্ট বই এর নাম: অমানুষ লেখক: হুমায়ূন আহমেদ প্রকাশক: অন্বেষা প্রকাশনী মুদ্রিত মূল্য: ১৬০ টাকা আমার পড়া হুমায়ূন আহমেদের বইগুলোর মধ্যে এই বইটি ব্যতিকরমধর্মী মনে হয়েছে।এটিকে থ্রিলার ক্যাটাগরীর অন্তর্ভুক্ত করা যায়। বইটির কভারে লেখা আছে: যদি তুমি ফিরে না আসতে পারো তাহলে তোমার ডেডবডি কি দেশে ফেরত পাঠাবার ব্যবস্থা করব? নাহ্। কাউকে কিছু বলতে হবে? নাহ্। কোনো কিছুই বলার নেই তোমার? জামশেদ মৃদুস্বরে বলল, যদি সম্ভব হয় অ্যানির পাশে একটু জায়গা রাখবে।মেয়েটি বড্ড ভীতু। আমি পাহারায় থাকলে হয়ত শান্তিতে ঘুমুবে। ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি এই বইটির রিভিউ হিসেবে বই এর কভারের এই লেখাটিই যথেষ্ট। তাও বইটির কয়েকটি দিক তুলে ধরি, মূলত রুন তার সামাজিক প্রতিষ্ঠার প্রতীক স্বরূপ তার ১২ বছর বয়সী মেয়ে অ্যানির জন্য একজন দেহরক্ষী নিয়োগের কথা বলে।ফলে ভিকি তার ব্যাবসায় বড় ধরনের সংকট থাকা সত্বেও স্ত্রীর এই আবদার পূরণে জামশেদ নামক দেহরক্ষী কে নিয়োগ দেয়।আর অত্যন্ত গাম্ভীর্য পূর্ণ এই জামশেদ অ্যানি নামক এই ছোট্ট মেয়েটির প্রতি যেভাবে এক মমতাসিক্ত বন্ধন এর রচনা করে তা পাঠকদের হৃদয়ের আবেগকে স্পর্শ করবে। কিন্তু ঠিক একই সাথে এই বইটি কিছু চরিত্রের উপর পাঠক হৃদয়ে এতো বেশি ঘৃণার সঞ্চার করবে, কোনো মানুষ যে তার মনুষ্যত্বের স্তরকে ভেদ করে এতটা নিচে নামতে পারে আর এতটা অমানুষে পরিণত হতে পারে তাও এই বইটি না পড়লে বোঝা যাবে না। তাই আমি বলবো একই সাথে গভীর মমতাবোধ আর তীব্র ঘৃণার সংমিশ্রণে এই বইটি এক অনবদ্য রচনা। অবশ্য বইটির শুরুতে হুমায়ূন আহমেদ বলেছেন, গল্পের কাঠামো এ. জে. কুইন্যালের ম্যান অন ফায়ার থেকে নেয়া। কাঠামোগত সামান্য মিল ছাড়া ম্যান অন ফায়ারের সাথে এ বইয়ের কোন সম্পর্ক নেই। তাই ' ম্যান অব ফায়ার ' বইটি পড়ার ও তীব্র ইচ্ছা আছে আমার। বইটিতে আমার প্রিয় চরণ: ' পৃথিবীতে বেশিরভাগ মানুষই হুমড়ি খেয়ে পড়ে যায়। খুব অল্প কিছু মানুষ উঠে দাঁড়াতে পারে। ' My rating: 4.7/5 আর রিভিউটা কেমন লেগেছে অবশ্যই comment করে জানাবেন। - Mohammad Mushfiqur Rahman Nehal
Fiction
0
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা জুলাই রিভিউ ৩১ বুক রিভিউ : বাচ্চা ভয়ংকর কাচ্চা ভয়ংকর লেখক : মুহম্মদ জাফর ইকবাল প্রকাশনী : অনুপম প্রকাশনী রেটিং : ৬.৫/১০ ধরণ : শিশুতোষ উপন্যাস রকমারি মূল্য : ১৪১ টাকা আধপাকা চুলের রইস উদ্দিন একটি বিজ্ঞাপন ফার্মে চাকরি করেন।২৫ বছর ধরে কাজ করা মতলুব মিয়াকে নিয়ে তার ছোট সংসার। তাকে দেখতে সাদাসিধে মনে হলেও অনেক সাহসী তিনি।এতই সাহসী যে দুটো কেউটে সাপ পুষেছিলেন তিনি।কিন্তু এই অতি সাহসী মানুষটিও একটি জিনিসকে অনেক ভয় পান,যে কারণে তিনি বিয়ে পর্যন্ত করেননি।তা হল বাচ্চা-কাচ্চা।আর এই বাচ্চা-কাচ্চাই তার জীবনের এক দর্শন বদলে দেয়। ভাগ্যের ফেরে রইস উদ্দিন মোল্লা কফিল নামের একজন কিডনি ব্যাপারীর খবর পান,যে শিউলি নামের এক মেয়ের কিডনি বিক্রি করে দিবে বলে সিদ্ধান্ত নেয়।এই খবর জানতে পেরে শিউলিকে বাঁচানোর জন্য রইস সাহেব মরিয়া হয়ে উঠেন।সেই শিউলি নিজেই রইস উদ্দিনের কাছে আসে এবং রইস সাহেবের পরিবারের তৃতীয় সদস্য হিসেবে বাড়িতে স্থান পায়।শিউলি কী পরিমাণ চঞ্চল আর দুরন্ত তা টের পেতে রইস উদ্দিনের সময় লাগেনা মতলুব মিয়া শিউলির অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে,রইস সাহেবের কাছে প্রস্তাব পাঠায় শিউলিকে স্কুলে পাঠানোর জন্য।শিউলি প্রতিদিন স্কুল শেষে রাস্তার মানুষের জীবনধারা কাজকর্ম প্রত্যক্ষ করে।এভাবে এক বাচ্চা পকেটমার বল্টুর সাথে পরিচয় হয়,যে রইস সাহেবের ঘরে চতুর্থ সদস্য।এভাবে নানা ঘটনার মাঝে আবির্ভাব হয় খোকন,শিক্ষিকা শিরিন বানু আর গাগু। এর মাঝে শিউলির আমেরিকান চাচা তাকে নিতে আসছে বলে চিঠি পাঠান রইস উদ্দিনের কাছে।শেষ পর্যন্ত কি শিউলি গিয়েছিল আমেরিকা?খোকন বল্টু আর গাগুরই বা কী হল??? রকমারি লিংক:https://www.rokomari.com/book/7683
Childrens-Book
2
আরশিনগর পড়লাম নাকি কোন মুভি দেখলাম বুঝতে পারছি না। লেখক খুবই দক্ষতার সাথে প্রতিটি চরিত্রকে জীবন্ত করে তুলেছেন। যারা যারা এখনও বইটি পড়েন নি শীঘ্রই পড়ে নেন । এবং আমি বাজি রেখে বলতে পারি, বই পড়া শেষে আপনিও এখানে আসবেন 5 * রেটিং দেয়ার জন্য।
Fiction
0
#রকমারি_রিভিউ_প্রতিযোগ_এপ্রিল ২০১৯ বই আলোচনা: ০৩ বইয়ের নাম: দ্য ম্যাটলক পেপার লেখক: রবার্ট লুডলাম অনুবাদক: শাহেদ জামান ধরণ: থ্রিলার ব্যক্তিগত রেটিং: ৮.৯/১০ প্রথম প্রকাশ: নভেম্বর ২০১৫ প্রকাশন: আদী প্রকাশন প্রচ্ছদ: অনিক পৃষ্ঠা সংখ্যা: ৩২০ মুদ্রিত মূল্য: ২০০/- #কাহিনী সংক্ষেপ: ভয়ঙ্করভাবে বেড়ে চলেছে মাদকাসক্তের সংখ্যা! নিউ ইংল্যান্ড রাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, শিক্ষক থেকে শুরু করে সবাক জড়িয়ে পড়েছে এই জালে। কাকতালীয়ভাবে জানা গেল এই সব কিছুর পেছনে দায়ী 'নিমরড' একটি গোপন সংস্থা। তদন্তের ভার পড়ল কার্লাইল ইউনিভার্সিটির তরুণ প্রফেসর জেমস ম্যাটলকের কাঁধে। দুই সপ্তাহ পর গোপন সম্মেলনে মিলিত হচ্ছে 'নিমরড' আর স্থানীয় মাফিয়া। সূত্র বলতে অদ্ভুত ভাষায় লেখা সম্মেলনের একটি আমন্ত্রণপত্র। কিন্তু 'নিমরডের' নাম শুনলেই কেন সবাই আঁতকে উঠছে? কাজে নামল ম্যাটলক, কিন্তু সাথে সাথেই বুঝতে পারল বড় ভয়ঙ্কর শত্রুর পেছনে লেগেছে ও! খুন হয়ে গেল ফেডারেল এজেন্ট। আত্মহত্যা করলেন অত্যন্ত সম্মানিত এক প্রবীণ শিক্ষক। বারবার হামলা চালানো হলো ম্যাটলকের উপর, ওর বান্ধবীর উপর চালানো হলো অমানুষিক নির্যাতন। শেষে মরিয়া হয়ে রুখে দাঁড়াল ম্যাটলক। কিন্তু নিষ্ঠুর এই বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নিরীহ শিক্ষক কি করতে পারবে? #পাঠ প্রতিক্রিয়া: শাহেদ জামানের বেশ কয়েকটি অনুবাদ পড়েছি; অনুবাদ শুনলেই আমাদের গায়ে যে জ্বালা দিয়ে উঠে সে রকম অনুবাদ নয়, অত্যন্ত সাবলীল ভাষায় সুখপাঠ্য অনুবাদ করেন তিনি। এর প্রমাণ ইতোমধ্যে দিয়ে ফেলেছেন। তেমনই দ্য ম্যাটলক পেপার সম্পর্কে পাঠক হিসেবে এক কথায় এটাই বলতে পারি 'অনবদ্য' একটি বই। যদিও এটা দিয়েই থ্রিলার জগতের রাজা রবার্ট লুডলাম পড়া শুরু করলাম! ইংরেজি থ্রিলার লেখকদের মধ্যে প্রথম সারির কয়েকজনের নাম বলতে গেলে অবধারিতভাবে রবার্ট লুডলামের নাম চলে আসে। তাঁর লেখার সংখ্যা মাত্র সাতাশটি। বিশ্ব মানের লেখক হতে হলে যে বইয়ের সংখ্যা খুব বেশি হওয়া প্রয়োজন নয়, তার জ্বলন্ত প্রমাণ রবার্ট লুডলাম। ব্যক্তিগত ভাবে আমি দারূণ থ্রিলার ভক্ত। ভালো থ্রিলার বই পেলে নাওয়াখাওয়া ছেড়ে দিয়ে বই পড়া ছাড়া আর কিছুই করতে পারি না। এই বইটার পটভূমি একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসেই। এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিষয়ের প্রফেসর এই গল্পের নায়ক। এই বইতে যে কার্লাইল ইউনিভার্সিটির কথা বলা হয়েছে বাস্তবে তার কোনো অস্তিত্ব নেই! লেখক গল্পটি এমন ধারাবাহিকভাবে সাজিয়েছেন যে এক পর্ব পড়ার পর আরেক পর্ব পড়ার জন্য মন আনচান করা শুরু করে দেয়! ম্যাটলকের প্রতিটি তদন্তে এমন রোমাঞ্চকর ঘটনা ঘটে যা একজন শিক্ষকের পক্ষে কখনোই করা সম্ভবপর নয়; কিন্তু পরিস্থিতি যে মানুষকে অনেক কিছু করতে বাধ্য করে 'দ্য ম্যাটলক পেপার' বইটি পড়ে আমি এটাই অনুধাবন করেছি। ড. ম্যাটলক আবার একজন লেখকও বটে! জাস্টিস বিভাগের এই অপারেশনে জড়িয়ে ম্যাটলক সমাজের বাস্তবতা টের পায়, এবং দৃঢ় সংকল্প নেয়; তাঁর ভাইয়ের হত্যাকারী, বান্ধবীর ধর্ষক, প্রবীণ শিক্ষক হেরন সহ আরও নানান জনের নির্যাতনের বিরুদ্ধে সে রুখে দাঁড়াবে। কিন্তু এর মাঝে চলে আসে নিগ্রো বিপ্লবী বাহিনী আর গল্পের প্রধান খলনায়ক ম্যাটলকের অতি সুধীমহল! সে পর্যন্ত ম্যাটলক সফল হয়েছে? হেরন, জীবনের সব ঘটনা ডায়েরিতে লিখে গিয়েছিলেন, নিমরডের অত্যন্ত দক্ষ বাহিনী তার পুরো বাড়িতে চিরুনিতল্লাশি করে কিছুই খুঁজে পায়নি, সেখানে অপটু ম্যাটলক কি পেরেছিল? কর্সিকান পেপার, কেনই বা ম্যাটলকের কাছে এসেছে, 'নিমরড' বাহিনী কর্সিকান পেপারের জন্য কেন এত উথলা হয়ে পড়েছে! #সেরা উক্তি: * অনেক প্রাপ্ত বয়স্ক লোকই এটা মানতে চায় না যে ইন্দ্রিয়সুখের জন্য ব্যবহৃত বেশিরভাগ জিনিসই অবৈধ। * সত্য কখনো ভালো হয় না, খারাপও হয় না; সত্যি সত্যিই। আপনার পাঠ শুভ হোক written by: Arafat Tonmoy(বুনোহাঁস)
Thriller
1
#রকমারি_রিভিউ_প্রতিযোগিতা_নভেম্বর_২০১৮ উপন্যাসঃবৃষ্টির ঠিকানা লেখকঃমুহম্মদ জাফর ইকবাল ধরনঃ শিশু-কিশোর উপন্যাস প্রকাশনীঃ পার্ল পাবলিকেশন্স মুল্যঃ ২০০ টাকা জাফর ইকবাল স্যার এর পড়া প্রথম কিশোর উপন্যাস,, এই বইটির মাধ্যমে আমি তার মতো এক বড় মাপের লেখকের সাথে পরিচিতি লাভ করি,, অসাধারন বই।। তার লেখা কিশোর উপন্যাসগুলো পড়ার সময় মনে হয় যাদুর বাগিচাতে আছি,, তাই নতুন করে কিছু বলবোনা।। এই বইটির মুল চরিত্রের নাম টুম্পা। সে বড় হয় আমেরিকায়। সে অনেক ভালো ছবিও আকে,, একবার ছবি আকার প্রতিযোগিতায় অনেক গুলো ডলার জিতে নেয়,, এখন কি করবে টুম্পা এতোগুলো ডলার দিয়ে?? টুম্পার বাবা অনেক বড় মাপের শিল্পি ।সে তার বাবাকে দেখেনি কখনও।তার বাবা থাকেন বাংলাদেশে কিন্তু সে কি কখনো তাকে খুজে পাবে??? আসতে পারবে বাংলাদেশে?? টুম্পা এটাও জানে বাংলাদেশে ভালো বৃষ্টি হয়,,বৃষ্টি দেখার তার অনেক শখ।। বইটি পড়ে তখন ভেবেছিলাম, অন্যদেশে থেকেও নিজের দেশের প্রতি টুম্পার কতোটাই না টান ছিল,, তাহলে যারা সত্যিই জিবিকার তাগিদে বাইরে কাজের খোজে যায় না জানি রাতজাগা কত মনে পড়ার স্মৃতি তাদের মনে নিজের দেশকে নিয়ে,, একদিকে যেমন বইটাতে দেশপ্রেম ছিল অন্যদিকে বাবা মেয়ের সম্পর্ক টাও ছিল,, আবার বাংলাদেশকে কিছু মানুষ অনেক নিচু চোখে দেখে এরকম মানুষের কথাও উপন্যাসটিতে আছে আচ্ছা যে কখনো বাবাকে দেখেয়নি সেই সন্তান যদি কখনও জানে বাবার বর্তমান কোন বড় রোগ নিয়ে তার রি একশন টা কেমন হবে?? বাবার পাশে কি সে সত্যিই থাকবে?? দিতে চাইবে তার মুল্যবান সময়?? জানতে হলে চোখ বন্ধ করে পড়ে ফেলুন উপন্যাসটি।। পাঠ্য প্রতিক্রিয়াঃ কিছু মানুষের স্বার্থপরতা,,কিছু মানুষের আথিতেয়তা,, কিছু মানুষের ভালোবাসা,,, এই সবকিছু মিলে আমার কাছে উপন্যাস টি পরিপুর্ন মনে হয়েছে।। প্রিয় গুলোর মধ্যে একটি।। আশা করি নিরাশ হবেন না।
Childrens-Book
2
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগীতা :::::::::১৮::::::::: বই:- ১৯৫২ নিছক কোন সংখ্যা নয়। লেখক:- মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন ঘরানা : রহস্য উপন্যাস প্রকাশনী:- বাতিঘর প্রকাশনী প্রকাশকাল:- বই মেলা ২০১৪। রকমারি মূল্য:- ২৬৬ টাকা পৃষ্ঠা সংখ্যা:- ৪১৫টি গল্পের কেন্দ্রিয় চরিত্র "সায়েম মোহাইমেন" মহাকাল পত্রিকার সাংবাদিক। নিজের গাড়ি না থাকলেও গাড়ি চালাতে পটু সায়েম। ছোট থেকেই সায়েমের স্বপ্ন লাল টুকটুকে একটি গাড়ি কেনার। চাকরি পাওয়ার কয়েক বছরের মাথায় নতুন একটি টুকটুকে লাল গাড়ি কিনে সায়েম। প্রথমদিন গাড়ি চালিয়ে বাড়ি ফেরার পথে নিম্মির সাথে কথা বলে, ফোন রাখার সময় চাদেঁর দিকে তাকায়। এর মধ্যে তার গাড়ির নিচে চলে আসে অজ্ঞাত এক ব্যক্তি। তাৎক্ষনিক পুলিশ এসে সায়েমকে এরেস্ট করে নিয়ে যায় এবং তার গাড়ি থেকে ৪ টি বিয়ারের বোতল উদ্ধার করে। সায়েম পুলিশকে অনেক বুঝানোর চেষ্টা করে সে নির্দোষ। বিয়ারের বোতল পাওয়ার পরে তাকে অপরাধী ভাবাটাই স্বাভাবিক। পুলিশও তাই ভাবে। এবং তাকে উত্তরা থানায় নিয়ে যায়। সায়েমের বন্ধু গোলাম মওলা "গুলশান বনানীর এসি"। উত্তরা থানার ওসিকে বুঝানোর চেষ্টা করে তার বন্ধু ড্রাইভ করে। সে এমন অপরাধ মূলক কাজ করতে পারে না। ওসি বলে "জ্বলজ্যান্ত একটা মানুষকে চাপা দেয়ার পরে তো এমনি এমনি ছেড়ে দিতে পারি না"। তবে ভিক্টিমের পরিচয় না জানা গেলে আপনার বন্ধুর জামিন করানো কোন ঝামেলাই হবে না। ছোট খাটো কোন উকিল ধরে কাল কোর্ট থেকে জামিন করিয়ে নিবেন। অপ্রত্যাশিত ভাবে সন্ধ্যায় ভিক্টিমের পরিচয় পাওয়া যায়। ভিক্টিম যে সে লোক নয়। সে আদেল সুফির একমাত্র নাতি "আদনান সুফি"। আদেল সুফি একজন ভাষা সৈনিক এবং মুক্তিযোদ্ধা। ভাষা আন্দোলনের পরে তাকে বিভিন্ন টিভি চ্যানেলের পর্দায় প্রায়শই দেখা গিয়েছে। তাদের সাথে প্রধান মন্ত্রীসহ অনেক এম্পিমন্ত্রীদের সাথে বন্ধুত্ব পূর্ণ সম্পর্ক। সেখানে সায়েমের জামিন শতভাগ অসম্ভব। সুফি পরিবারে একমাত্র উত্তরাধিকারীরের হতাহতের খবর ছড়িয়ে পড়লে থানা থেকে চলে যেতে বাধ্য হয় মাওলা। গোলাম মওলা ভিক্টিমের পরিবার সম্পর্কে সব জানিয়ে দেয় নবিন উকিল নিশুকে। সায়েম কি অপরাধ না করেই শাস্তি পাবেন???? আদালতে সবাই জানে সায়েম মোহাইমেন আসল খুনি। কিন্তু আসামী পক্ষের উকিল প্রমান করে দেয় "আদনান সুফি যখন গাড়ি চাপা পড়ে তার আগেই তাকে হত্যা করা হয়েছে"। জামিন পেয়ে যায় সায়েম। তবে কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী যতদিন আসল খুনিকে না পাওয়া যাবে ততদিন তাকেই অপরাধী বিবেচনা করা হবে। গাড়িটি খুঁজার নির্দেশ দেয় কোর্ট। সকলেই ভাবে গাড়িটির নাম্বার খুব অদ্ভুত (১৯৫২) এই কারনেই হয়তো খুব তাড়াতাড়ি গাড়ির খবর বের করতে পারবে। ঢাকার প্রায় সব গাড়ি চোরকেই ধরে এনে পিটুনি দিয়েও গাড়ির হদিস বের করতে পারে না পুলিশ। কি করে ১৯৫২ উদ্ধার হবে? নাকি হবে না? বাস্তব জীবনের মত কি এখানেও পাপী পাপের শাস্তি পাবে না? পাঠ প্রতিক্রিয়া :- রহস্য উপন্যাস আমার বরাবরই প্রিয়। আর ১৯৫২ অতুলনীয় । প্রিয় বইয়ের তালিকায় আরো একটি বই যোগ হলো। প্রতিটা পাঠেই মনে হতো এই বুঝি রহস্য ভেদ হলো। বইটি পড়ার সময় এমন একটা ঘোরের মধ্যে ছিলাম যা ভাষায় প্রকাশ করতে পারছি না। অতিসাধারণ একটি প্লট তবে লেখকের অসাধারন লেখনি সাধারন কে অসাধারণ করে তুলেছে। সায়েম গায়ক বন্ধুর চরিত্রটা ইন্টারেস্টিং ছিলো।
Thriller
1
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা। বই:- আমি তপু লেখকঃ মুহাম্মদ জাফর ইকবাল প্রকাশনাঃ পার্ল পাব্লিকেশন্স ঘরানাঃ কিশোর উপন্যাস রকমারি মূল্যঃ ১৩২টাকা পৃষ্ঠাঃ ১২৩ রেটিং:- ৫/৫ মুহম্মদ জাফর ইকবাল এর লেখা কিশোর উপন্যাস গুলোর মধ্যে 'আমি তপু' উপন্যাসটি একটু ব্যতিক্রম মনে হয়। তাঁর অন্যান্য কিশোর উপন্যাসগুলোতে থাকে একদল স্কুলগামী কিশোর এবং তাদের দুঃসাহসিক অ্যাডভেঞ্চার! আর 'আমি তপু' অষ্টম শ্রেনিতে পড়ুয়া এক কিশোরের একাকিত্বের গল্প। বেস্ট মোটিভেশনাল বুক বলা যায় "আমি তপুকে"। রিভিউ:- একটি হাস্যোজ্জ্বল দুরন্ত ছেলে আরিফুল ইসলাম তপু। তপু তখস ক্লাস ফাইভে। ক্রিকেট ব্যাট কিনতে গিয়ে রোড অ্যাক্সিডেন্টে বাবাকে হারায়। স্বামীর মৃত্যুতে তপুর মা মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং স্বামীর মৃত্যুর জন্য নিজের ছেলে তপুকেই দায়ী করে । তখন তপুর জীবনে নেমে আসে ঘোর অমানিশার অন্ধকার। নিজের মায়ের কাছ থেকেই নিগৃহতার শিকার হতে হয় তপুকে। মায়ের ভয়ে আপন ভাই বোনেরাও ছেলেটার থেকে মুখ ঘুরিয়ে নেয়।! তিন বছরে তপুর জীবনটা যেন জ্বলে-পুড়ে ছারখার হয়ে যায় । কাউকে মুখ ফুটে সে বলেনি , দিনের পর দিন , সে মায়ের মানুষিক এবং শারীরিক অত্যাচার সহ্য করতে থাকে। ক্লাসের একসময়ের অপ্রতিদ্বন্দ্বী ফার্স্ট বয় ছিল সে। আজ তাঁর রোল হয়ে গেছে শেষ কয়েকজনের একজন। যত দিন যায়, তপুর কষ্ট বাড়তেই থাকে তপুর। তপুকি পারবে আবার প্রথম হতে???? কিন্তু কিভাবে?? তপু কি পারবে মায়ের ভালেবাসা ফিরে পাববে?? নাকি কখনো সুস্থই হবেন না। তহলে কি করবে তবু তপুর???? কি করে মায়ের ভালোবাসা ফিরে পাবে সে???? #পাঠ_প্রতিক্রিয়া:- জাফর ইকবালের কিশোর উপন্যাসের সাথে কমবেশি সবাই পরিচিত। তার অসাধারন লেখনি প্রতিটি চরিত্রকে চমৎকার ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। গতরাতে বইটি পড়া শুরু করে ভেবেছিলাম রাত অনেক হলো এখন কিছু সময় পড়ে ঘুমাব। সকালে ঘুম থেকে উঠে বাকি অংশ পড়বো। কিন্তু কখন যে বইটি শেষ হয়ে গেলো বুঝতেই পারলাম না। কি সুন্দর লেখনি জাফর স্যারের। এক নিশ্বাসে পড়ার মতো বই। পড়ার সময় কখন যযে চোখের কোনে পানি জমতে শুরু করে বুঝতেই পরি নি।
Childrens-Book
2
বাংলাদেশের ইতিহাস (ড. মো. মাহবুবর রহমান) এর বই টি আজ পড়লাম। সুন্দর করে বাংলাদেশের ইতিহাস তুলে ধরেছেন। আমার মনে হয় বাংলাদেশের নাগরীক হিসাবে প্রত্যেকের এই ইতিহাস জানা কর্তব্য। ড. মো. মাহবুবর রহমান তার বই য়ে প্রকৃত ইতিহাস ফুটিয়ে তুলেছেন
Political
3
'শয়তান' ছোট একটা শব্দ। কিন্তু হাজার হাজার বছর হয়ে যাওয়ার পরেও, শয়তান নিয়ে মানুষের আগ্রহ বিন্দুমাত্র কমেনি। বরং দিন দিন তা আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। কোথায় জন্ম শয়তানের?, কি তার বংশ পরিচয়?, কেনোই বা বেছে নিল অভিশপ্ত জীবন? , আসলেই কি শয়তান বলতে কিছু আছে না শুধু মানব মস্তিষ্কের অলীক কল্পনামাত্র? এমন হাজারো প্রশ্ন আছে মানুষের মনে শয়তান সম্পর্কে। বর্তমানে আরো আলোচিত বিষয় হলো কারা উপাসনা করে শয়তানের? আর কি কারণ তাদের এই উপাসনার?। আহ!! এত এত প্রশ্ন কিন্তু জানবো কি করে? অনেক বই পড়লাম জানার জন্য কিন্তু সন্তুষ্ট হওয়ার মত কিছুই পেলাম না৷ আর শয়তান ব্যাপারটা এমন যে এ নিয়ে কাজ করবেই কে?। জানলাম ড্যানিয়েল ডিফো'র "The History of Devil". কিন্তু এত বড় বই তাও আবার পুরো ইংরেজিতে, তাই আর সাহসে কুলোয়নি। খুব করে চাইতাম কেউ কাজ করুক এই বিষয়ে। আর অবশেষে একটি কাজ পেলামও। বইয়ের নাম " হাজার বছরের অব্যক্ত শয়তানের গল্প "। নামটা অনেক ইন্টারেস্টিং লাগল। কিন্তু লেখক নতুন আর এই নামের লেখক সম্পর্কে আগে কিছু শুনি নি। তাই একটু সংশয়ে ছিলাম কেমন হয় বইটা। কিন্তু কৌতুহলও দমাতে পারছিলাম না। তাই অর্ডার করেই ফেললাম বইটা। সত্য বলতে কি আমার টাকা সম্পূর্ণ উসুল। কিছু দূর্বলতা আছে বইটিতে তারপরও আমার মনের খোরাক জোগাতে সফল। অনেক ইনফরমেটিভ একটা বই। উপরে যেই প্রশ্ন গুলো করেছি মোটামুটি প্রায় সবগুলোরই যুক্তিযুক্ত উত্তর পেয়েছি। কাহিনি সংক্ষেপঃ ক্রাইম রিপোর্টার নির্ঝর। বছরের প্রায় সময়ি কাটে নিজের পেশা নিয়ে। কিন্তু বছরের একটা সময় ব্যয় করে নিজের একমাত্র সখ অথবা বাতিক পুরণ করতে। আর তা হলো যেভাবেই হোক শয়তানের সাক্ষাত পাওয়া। আর তাকে এই কাজে সাহায্য করছে তার এসিস্ট্যান্ট বিল্লু। বিল্লু আবার ঘোর বস্তুবাদী। একদিন সকালে বিল্লুর কল আসে নির্ঝরের কাছে। আর শুরু হয় তাদের শয়তানের অনুসন্ধান। তারা কি পারবে শয়তানের সাথে দেখা করতে?? বইটিতে শয়তান সম্পর্কে অনেক তথ্য দেওয়া আছে৷ পাশাপাশি আছে ইল্লুমিনাতি, ফ্রিমেসন, রায়েলবাদ, শয়তানের সাথে যুক্তিতর্ক। আর সবচেয়ে অবাক করা তথ্য হলো যে বাংলাদেশেও একসময় ইহুদিদের বাস ছিল। তাদের সম্পূর্ণ ইতিহাস তুলে ধরা হয়েছে৷ একজন পাঠক যখন কোনো নতুন কিছু সম্পর্কে জানে তখন তাদের মনে ওই নতুন জিনিসটা দেখার একটা তীব্র ইচ্ছা জাগে৷ এই বইয়ের আরেকটি বিশেষত্ব যে যথা সম্ভব একটা ভিজুয়াল ভিউ দেওয়ার চেষ্টা করেছেন লেখক। বইয়ের নামঃ হাজার বছরের অব্যক্ত শয়তানের গল্প লেখকঃ কাজি ম্যাক প্রকাশকঃ বইপিয়ন প্রচ্ছদঃ মারুফ বিল্লাহ
Thriller
1
‘দ্য আর্ট অব ওয়ার’ সান জু এর লেখা প্রাচীন কিন্তু অসাধারন একটি সমর বিদ্যা বিষয়ক বই । সান জু ছিলেন খৃষ্টপুর্ব শতাব্দীর সফল একজন সামরিক কৌশলবীদ । তিনি খৃষ্টপুর্ব ৫৪৪ সালে পূর্বচীনে জন্মগ্রহন করেন । তার লেখা আর্ট অব ওয়ার বইটি চীনের বিভিন্ন সামরিক বাহিনীর মধ্যে যুদ্ধ কৌশল বিদ্যা হিসেবে বহুল পঠিত একটি বই । অষ্টম শতাব্দীতে জাপানী জেনারেলদের মধ্যেও বইটি ব্যাপক জনপ্রিয় হয়েছিল । বইটি বাংলা ভাষায় অনুবাদ করেছেন আ ম ম ফজলুর রাশিদ । তিনি ১৯৭৮ সালে কক্সবাজার শহরের তারাবনিয়াছড়ায় জন্মগ্রহন করেন । বইটি প্রকাশিত হয় ২০১৭ সালের জানুয়ারি মাসে । বইটির প্রকাশক সৈয়দ জাকির হোসেন । প্রকাশিত হয় অ্যাডর্ন প্রকাশনী থেকে । প্রচ্ছদ করেছেন মোহাম্মদ মোরশেদুল হক । যার নামে এই বইটি , অর্থাৎ সান জু , কে এই সান জু ? সানজু ছিলেন চিঈ রাজ্যের বাসিন্দা । সমর কৌশল এর উপর তার লেখালেখি তখন কার দিনে প্রচন্ড বিখ্যাত ছিল । এইরকম নানা সমর কৌশল তার আয়ত্বে থাকার সুবাদে তিনি তাদের রাজ্যের রাজার সুনজরে পড়ে যান এবং রাজা তাকে সেনাপতির দায়িত্ব দেন । সেনাপতির দায়িত্ব পাওয়ার পরে তিনি পশ্চিমের শক্তিশালী রাজ্য চু কে পরাস্ত করে ইং পর্যন্ত এগিয়ে যান। তার অউ রাজ্যের কৃতিত্বের অনেকটাই সান জু এর অবদান । তার লেখা এই বইটি এখন ও অনেক স্থানে সমর এর কৌশল হিসেবে ব্যবহার করা হয় । বর্তমানে যুব সমাজ সবসময়ই জয়ী হতে চায় , তাদের জন্য বইটি হতে পারে অসামান্য কিছু ।
War
5
I want to buy this book, but how???
Fiction
0
বইয়ের নাম : গ্রামের নাম কাঁকনডুবি লেখক : মুহম্মদ জাফর ইকবাল প্রকাশনী : তাম্রলিপি পৃষ্টা : ২৫৬ মূল্য : ৪০০টাকা ধরণ : মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক কিশোর উপন্যাস সময়টা ১৯৭১। বাংলাদেশের আর দশটা গ্রামের মতই একটি গ্রাম কাঁকনডুবি। গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে নদী। নাম তার কালী গাঙ। রঞ্জু এই গ্রামেরই ছেলে। নবকুমার হাই স্কুলের পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র। বাবা মা কেউ নেই। কাছের মানুষ বলতে একমাত্র নানী। রঞ্জু দুরন্ত কিশোর। পড়াশোনায় তার মন নেই। সকাল থেকে সন্ধ্যা অবধি তার সময় কাটে গ্রামময় ঘুরে বেড়িয়ে। শান্তশিষ্ট, নিস্তরঙ্গ এই গ্রামে হঠাত্‍ই ঘটে যায় কয়েকটা ঘটনা। গ্রামে আবির্ভাব ঘটে মাসুদ নামক এক যুবকের। খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে স্কুলে পড়ানোর ভার পড়ে তার। তার মধ্য দিয়েই রঞ্জুরা জানতে পারে দেশের রাজনৈতিক হালচাল। তার মাসখানেক পরই কাঁকনডুবিতে আসে পাক বাহিনী। সুন্দর, সাজানো গোছানো জীবনে ঘটে ছন্দপতন। কাঁকনডুবি পরিনত হয় মৃত্যুপুরিতে। মাসুদ গড়ে তোলে মুক্তিবাহিনী। রঞ্জুকে পাক সেনারা ধরে নিয়ে যায়। আর তারপরই রঞ্জুর জীবনে আসে এক বিশাল পরিবর্তন। পাঠ প্রতিক্রিয়া : বেশ কিছুদিন ধরে খটমটে বই পড়ে মেজাজ যখন কঠিন অবস্থায়, তখন শুরু করলাম এই বইটি। শিশুদের জন্য লেখা, সবসময়ই আমার কাছে জটিল বলে মনে হয়। কিন্তু মুহম্মদ জাফর ইকবাল স্যার এ বিষয়ে অপ্রতিদ্বন্দী। তার সাবলীল ভাষা ও বনর্না যেকোন বয়সের উপযুক্ত। এই বইতে মুক্তিযুদ্ধকে অত্যন্ত পরিষ্কার ভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। বিভত্‍স বনর্না না থাকা সত্ত্বেও কিভাবে যেন পুরো মুক্তিযুদ্ধের ভয়াবহতা চোখের সামনে চিত্রিত হয়। যারা পড়েননি, পড়তে পারেন। নিঃসন্দেহে ভাল লাগবে
Childrens-Book
2
বইয়ের নাম: মধ্যাহ্ন (অখণ্ড) লেখক: হুমায়ূন আহমেদ প্রকাশনা: অন্যপ্রকাশ মূল্য:৫১০৳ (৬০০ টাকা বইয়ের গায়ে লেখা) পৃষ্ঠাঃ ৪০৮ প্রচ্ছদঃ মাসুম রহমান ক্যাটাগরীঃ ইতিহাস আশ্রিত বাংলার উপন্যাস প্রকাশকাল ঃ২০০৮ , বইমেলা এক সাথে আমেরিকা, কানাডা, ইউ কে তে প্রকাশিত হয়। কাহিনীঃ তুমি জ্যোতির জ্যোতি, আমি অন্ধ আঁধারে তুমি মুক্ত মহীয়ান, আমি মগ্ন পাথারে। তুমি অন্তহীন, আমি ক্ষুদ্র দীন, কী অপূর্ব মিলন তোমায় আমায়। ---- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। মধ্যাহ্ন মানে দুপুর বেলা, ঠিক যখন মাথার উপর সুয্যিমামা বিরাজমান , তখন থেকে মধ্যাহ্ন শুরু। ১৯০৫ সালের পটভূমিকাতে লেখা এই বইটায় অনেকগুলা চরিত্র। বেশ অনেকগুলো চরিত্র, চক্রাকারে একে অন্য কে কেন্দ্র করে ঘুরছে, যেভাবে আমরা ঘুরি রোজ। মজার ব্যাপার হল এটা তে ইতিহাসের অনেক ঘটনা থাকলেও এটি ইতিহাস নয়। অনেকের কাছে হরিচরণ,লাবুস চরিত্রগুলো কেন্দ্রীয় চরিত্রগুলোর দু’জন, কিন্তু সক্ষম থাকা সত্ত্বেও এরা নিরুত্তাপ, বিশেষত লাবুস। ভালো লাগছে।আবার ধনু শেখ, শশাংক পাল, মাওলানা ইদরিস, জুলেখা, অম্বিকা, শরীফা আর নানা চরিত্রের ভীড় এই বইয়ে... গল্পের শুরুতে আমরা দেখি হরিচরণ বাঁধানো পুকুর ঘাটে অজানা একঘ্রাণে বিভোর, স্বপ্ন দেখেন কোনো এক নীলরঙা শ্রীকৃষ্ণ স্বরূপ শিশু কে কোলে নিয়ে বসে আছেন, যার শরীর বেয়ে ঝরছে নীল রক্ত!!!!!!!! আবার বাস্তবে ফিরে শিউলি গাছের দিকে চেয়ে নিজের তিন বছরের মৃতা কন্যা কে মনে করেন.....................। একদিন দেখেন রাজপুত্রের মত এক ছেলে তাঁর বাড়ির বাইরে ঘুরে বেড়াচ্ছে, কে এই ছেলে??? ছদ্মবেশী শশী মাস্টারটি বা কে?? ধনু শেখ নাম মাত্র মুসলিম, এক ধূর্ত চরিত্র, চালাকির সাথে 'অম্বিকা ভট্টাচার্য' নামের এক হিন্দু ঠাকুর কে গো-মাংস খেতে বাধ্য করতে হয়েছিলো। হিন্দু ধর্ম মতে এটি মহাপাপ............।। সে কেন করল এই কাজ? আবার এই ধনু শেখ তাঁর লঞ্চের নাম রাখেন হিন্দুর নামে, কেন???? সময়ের ফেরে কে কোথায় যাবে? কোথায় যায়? পাঠ প্রতিক্রিয়া ঃ মন্ত্রমুগ্ধ আমি, লেখা পড়ে মনে হচ্ছিল আমি নিজের চোখে সব দেখছি, প্রায় ১০০ বছর আগের কাহিনী কে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে রূপ দেয়া খুব সহজ কাজ না .........। ২য় খন্ড শেষে বাকি লাখ লাখ পাঠকের মত আমারও মনে হয়েছে ৩য় খন্ড কই? লেখক উপন্যাসে আইনস্টাইন, ম্যাক্সিম গোর্কি,লেনিন,সেই বঙ্গভঙ্গ, ঢাকাতে বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি নিয়ে আন্দোলন কোন কিছুই বাদ দেন নি, সহজবাভেই বলা যায় এটা মোটেও সহজ কাজ নয় , এমনকি শেরে বাংলা, মাদামকুরি, কবি গুরুও বিরাজমান, এত ইতিহাস সমান্তরালে জোড়া সহজভাবেই সহজ নয়, এই কাজের জন্য প্রচুর পড়াশোনা আর মাথা ঠান্ডা রাখা প্রয়োজন, লেখক সুস্থ থাকলে আজ হয়ত ৩য়-৪র্থ খন্ড পেতাম, বইটি পিডিএফ পড়েছি, হার্ডকপি সংগ্রহের ইচ্ছা আছে............ এবং এটি ইতিহাস আশ্রিত হলেও সত্যের ভিত্তিতে দাঁড়ানো,। উপন্যাসে উল্লেখিত আম্বিকা ঠাকুর হুমায়ূন আহমেদের মামার বাড়ির দিকের পূর্বপুরুষ ..। রেটিং ঃ ৫/৫ রকমারি লিঙ্ক ঃ https://www.rokomari.com/book/1141/%E0%A6%AE%E0%A6%A7%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A7%8D%E0%A6%A8-%E0%A6%85%E0%A6%96%E0%A6%A3%E0%A7%8D%E0%A6%A1
Fiction
0
Not as a my friend of the writer, I would say this book is a good. Anyone can buy, if you want to laugh yourself.
Fiction
0
#রকমারি_পাঠক_সমাগম_বুক_রিভিউ_প্রতিযোগিতা মাসঃ জুলাই সপ্তাহঃ তৃতীয় সপ্তাহ (২১-২৬ জুলাই) পর্বঃ ০১ বইঃ গথ লেখকঃ অৎসুইশি অনুবাদকঃ কৌশিক জামান প্রকাশনীঃ বাতিঘর প্রকাশনী পৃষ্ঠাঃ ২৭০ মুদ্রিত মূল্যঃ ২৮০ টাকা প্রচ্ছদঃ ডিলান প্রথম প্রকাশঃ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ঘরানাঃ সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার . ||রিভিউ|| ক্লাসের সবচেয়ে অদ্ভুত মেয়েটির নাম মোরিনো। একেবারে আলাদা ধাচের মেয়েটির তার ক্লাসের এক বন্ধুর সাথে অদ্ভুত রকমের মিল আছে। পুরো বইটিতে এই দুই অদ্ভুত চরিত্রই যেন এক নতুন স্বাদ জুগিয়েছে বইটির। মোরিনো আর তার বন্ধু যেন বিচরণ করেছে অন্য এক জগতে। কি সেই জগত? তাহলে চলুন কিছুটা ধারণা নেওয়া যাক অদ্ভুত এই চরিত্র দুটির বিচরণ করা জগতের সাথে। . নৃশংস ভাবে খুন করা হচ্ছে অল্পবয়সী মেয়েদের। খুনি তার পছন্দসই জায়গায় নিয়ে খুনগুলো করছে। খুন করার পর লাশগুলো নিয়ে যেন শিশুশুলভ খেলা খেলছে খুনি। টুকরো টুকরো করে ফেলছে লাশের শরীর। আর সেই টুকরো টুকরো শরীর বিভিন্ন জায়গায় পেরেক ঠুকে আটকে রাখছে। ক্রাইম স্পটগুলো যেন বিভৎস রূপে ফুটিয়ে তুলতেই খুনির এমন আয়োজন। বিভৎস এ সমস্ত খুনের বর্ণনাগুলো খুনি তার নোটবুকে নিঁখুতভাবে লিখেও রাখছে। আর সেই নোটবুকটাই পায় মোরিনো নামের অদ্ভুত মেয়েটি। মোরিনো তার বন্ধুর সাথে নোটবুকের ব্যাপারটা শেয়ার করে। প্রতিটা খুনের বর্ণনা ওদের বেশ আগ্রহ করে তুলে। খুনির নোটবুকে লেখা সর্বশেষ খুনের বর্ণনামতো মিজুগুশি নানামির খুনের তদন্তে নামে ওরা দুজন। যেন জেনেশুনে হঠাৎ করে খুনি আর খুনের সাথে জড়িয়ে পরে মোরিনো আর তার বন্ধু। সে এক উত্তেজিত আর শ্বাসরুদ্ধকর কাহিনী। #গথ . কিছু কিছু সুশীল আর সামাজিক মানুষের মাঝেও অস্বাভাবিক ও বেপরোয়াপোনা স্বভাব থাকে। আর তা যেন চিরায়ত রূপেই মুখোশের আড়ালে লুকানো থাকে। এরকমই এক মুখোশধারী সুশীল মানুষের গল্প এটা। যার জাগতিক একটাই নেশা আর তা হলো হাতের। হাত কেটে সংগ্রহে রাখে সিনোহারা। সে কাউকে খুন করে না কিন্তু মানুষকে আঘাত করে তার হাত কেটে নেই। জগতের এই একটা জিনিসই তাকে এত প্রশান্তি দিতে পারে। পুতুলের হাত কাটা দিয়ে শুরু করলেও সিনোহারা এখন মানুষের হাতই বেশি কাটে। নেশাটা যখন চরম পর্যায়ে উঠে তখন সে জন্তুর সামনের থাবাও কেটে সংগ্রহ করে। সিনোহারা'র বাড়ির ফ্রিজে সেই হাত গুলোর স্থান হয়। এ যেন অন্ধকার মানুষের জীবনের অন্ধকার দিকের এক অস্বাভাবিক গল্প। #কাটা_হাত . হঠাৎ করে শহর থেকে কুকুর কিডন্যাপ হচ্ছে। কুকুরগুলো কারো না কারো পোষা কুকুর। আর যে কুকুরগুলো কিডন্যাপ হচ্ছে তা বয়সেও ছোট। কে কুকুরগুলোকে কিডন্যাপ করছে আর কেনো করছে তা জানা যাচ্ছে না। এই কুকুর কিডন্যাপিং-এর হদিসে নেমে পড়লো মোরিনোর বন্ধু। আর তাতে যে রহস্য বেড়িয়ে আসলো তা যেনো সত্যিই এক অভাবনীয় এবং অবিশ্বাস্য ব্যাপার। কুকুর কিডন্যাপিং-এর জমজমাট এ রহস্য যেনো বইটিতে আরো একটি ভিন্ন ধাঁচের গল্পের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছে। #সারমেয় . মোরিনো ইয়োরুর শৈশবকালের গল্প। তার ও তার যমজ বোন ইয়ুকে নিয়ে সাদামাটা এক গল্পের শুরু হলেও পুরো গল্পটা জুড়ে আছে অতি রহস্য। দুজনেই যমজ ছিল আর দেখতে একই রকম ছিল। ছোট বেলায় মোরিনো ইয়োরু আর মোরিনো ইয়ু দড়িতে ঝুলে আত্মহত্যা আত্মহত্যা খেলতো। তারপর একদিন ইয়ু সত্যি সত্যি গলায় ফাঁস নিয়ে মারা যায়। সাদামাটা এ গল্পে যে রহস্য লুকিয়ে আছে তা নির্দ্বিধায় আপনাকে হতবিহ্বল করতে সক্ষম। আর এই চরম রহস্যের উদঘাটন করেছে মোরিনোর সেই অদ্ভুত ক্লাসমেটটিই। #স্মৃতি/যমজ . সেইকি তার বাড়িতে একাই থাকে। বাড়ির আশেপাশের খালি জায়গাতে সেইকি বিশাল বাগান করেছে। ছোটকাল থেকেই সেইকি বাগানের সাথে জড়িত খুব নিবিড়ভাবে। একদিন বাগানে গর্ত না করলে সেইকি শান্তি পাই না। কিন্তু সেই বাগানপ্রিয় মানুষটা হঠাৎ করে কফিন বানাতে শুরু করলো। সেই সাথে ও বাগানে গর্তও করতে লাগলো। আর শিকার করে করে নৃশংস কাজ করতে থাকলো। যা সেইকি'র জীবনের এক অন্ধকার দিক ছিল। যা একদিন প্রকাশ পায়। এবং কতটা কঠিন আর নৃশংসতম এ কাজ তা জানার পর যে কারোরই শিরদাঁড়া বেয়ে শীতল স্রোত নেমে যাবে। #সমাধি . কিটাযাওয়া হিরোকাে আর কিটাযাওয়া নাটসুমি ছিল দুই বোন৷ হিরোকো ছিল বড় আর নাটসুমি ছিল ছোট। হঠাৎ করে কিটাযাওয়া হিরোকাে খুন হয়ে যায়। হিরোকোর লাশটাকে খুনি এতটাই টুকরো করেছিল যে প্রশাসন তার পরিবারকেও দেখতে দিতে চাইছিল না। কিন্তু জোর করেই তার বাবা মা দেখে আর তারপর থেকেই তারা কেমন জানি বদলে যায়। হিরোকোর লাশ ছিল দেখতে বিভৎস আর তাকে খুন করা হয়েছিল খুব নৃশংসভাবে। কিন্তু মৃত্যুর আগমুহূর্তে হিরোকাে তার কণ্ঠ একটা টেপে রেকর্ড করে রাখে। সেই টেপটা পায় নাটসুমি। আর তারপর থেকেই সে যেনো সম্পূর্ণ বদলে যায়। হিরোকাের কণ্ঠ রেকর্ড করা টেপটা যেন এ গল্পের আশ্চর্য রহস্যকে উদঘাটন করেছে। এক চমকপ্রদ আর বিস্মিত করা রহস্য নিয়ে যেনো পুরো গল্পটা লেখক তুলে ধরেছেন সবার সামনে। #কণ্ঠ . পাঠ প্রতিক্রিয়াঃ লেখক অৎসুইশি'র আসল নাম হিরোতাকা আদাশি। তিনি একজন জাপানি হরর ফ্যান্টাসি লেখক এবং চলচ্চিত্র নির্মাতা। তবে জাপানি এই লেখকের অৎসুইশি নামটা যেমন অদ্ভুত আর আকর্ষণীয় তেমনি তার বই 'গথ'-ও যেন অদ্ভুত আর আকর্ষণীয়। যার কারণেই হয়তো ২০০৩ সালে বইটি জাপানের সম্মানজনক "হনকাকু মিস্ট্রি এ্যাওয়ার্ড" জিতে নেয়। পুরো বইটি জুরে রয়েছে অস্বাভাবিক কিন্তু মনোমুগ্ধকর সমস্ত ঘটনার বর্ণনা। এমন ভিন্ন ধারার লেখাতে খুব সহজেই যে কোন পাঠক মুগ্ধ হয়ে থাকবে। নিঃসন্দেহে এ বইটি দারুন উপভোগ্যের। বইটি ছয়টা ভিন্ন ভিন্ন বড় গল্পের অসাধারন টুইস্ট নিয়ে রচিত। প্রত্যেক গল্পই যেন রহস্যে টইটুম্বুর। পড়তে পড়তে স্নায়ু কখনও উত্তেজিত হয় আবার কখনও জোরেসোরে বেড়িয়ে আসে দীর্ঘশ্বাস। মনে হয় এটা কিভাবে সম্ভব আবার পরমুহূর্তেই মনে হয় জগতটা এমন ঘটনা ঘটার জন্যই তো তৈরি। মানুষের মনের অন্ধকার দিক কিংবা ইচ্ছা লেখক তার কলমের কালিতে নিপুণ হাতে ফুটিয়ে তুলছেন। আর অনুবাদক কৌশিক জামানের সহজ সাবলীল অনুবাদে বইটি বাঙালী পাঠক মনে সহজেই জায়গা করে নিয়েছে। এমন রহস্যমন্ডিত একটা বই অনুবাদ করে আমাদের পড়ার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য পাঠক হিসেবে আমি তার কাছে কৃতজ্ঞ প্রকাশ করতে বাধ্য। ছয়টা ভিন্ন ধারার গল্প থাকলেও প্রত্যেক গল্পেই দুজন একই মানুষ বিচরণ করেছে। যেনো একই সুতোয় গাঁথা ছয়টা গল্প। বইটির প্রচ্ছদে মোরিনোকে হাইলাইট করা হলেও মোরিনোকে খুব কম আগ্রহীই মনে হয়েছে তার ক্লাসমেটের চেয়ে। মোরিনোর ক্লাসমেটই যেনো সবকটা গল্পের মূল সুর ছিল। বইটিতে টুকিটাকি কিছু প্রিন্টিং মিসিং থাকলেও তা যেনো নজর এড়িয়ে যায়। সবকিছু ছাপিয়ে মনের ভেতরে গেঁথে থাকার মতো গল্প নিয়ে লেখা বইটির জন্যে লেখক আর অনুবাদকের প্রতি এক অন্যরকম ভালোবাসা জেগে উঠেছে আমার মনে। আমি সত্যিই মুগ্ধ আর বিস্মিত। . ব্যক্তিগত রেটিংঃ ৪.৫/৫ ______নিষাদ নিনিত
Thriller
1
শার্লক হোমসকে চেনেনা এমন বইপোকা সম্ভবত পৃথিবীতে নাই। তেনাকে সবাই চেনে, সবাই ভীষন ভালোবাসে। ভালোবাসে তার করা রহস্য সমাধান পদ্ধতিকে। এমন অনেক গোয়েন্দা চরিত্র তৈরী হয়েছে যার অনুপ্রেরণায় আছে শার্লক। প্রতিটি রহস্যকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে বিচার করে তবেই বের করেন সমাধান। শাস্তি দেন অপরাধীদের। কিন্তু অবাক বিষয়! বাচ্চা ছেলে অর্চি হোমসের সমাধানে প্রশ্ন ছুড়লো। কিন্তু উপস্থিত জনতা কেউ কোন কথা বললো না। অথচ তারা হোমসকে একটাবার দেখার জন্য মুখিয়ে ছিল। হোমসের বিরুদ্ধে যাওয়ার পর তাদের করনীয় ছিল অর্চিকে রুম থেকে বের করে দেয়া কিন্ত কেউ সেটা করেনি। করেনি কারন সবাই অর্চি বিষয়ে বেশ ভালোভাবে অবগত। তাহলে অর্চি বিষয়ে খুলেই বলি : ধরুন আপনি কোটি কোটি বইয়ের একটা লাইব্রেরীর মাঝ থেকে একটা বই বাচাই করলেন তারপর সেটার নির্দিষ্ট পৃষ্ঠায় হাত বুলিয়ে আগের জায়গায় রেখে দিলেন। এবং অর্চিকে সেটা খোজার জন্য বললেন। বিশ্বাস করা শক্ত কিন্তু তারপরও এটাই সঠিক যে অর্চি কোটি কোটি বইয়ের মাঝে শুধু একটা বই হাতে নিয়ে আপনার হাতে দেবে। এটা সেই বই যেটা কিছুক্ষণ আগে আপনি রেখে দিয়েছিলেন। ছোট্ট এই ঘটনাটার মধ্যে দিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করলাম অর্চির ঘ্রান শক্তি কতটা প্রখর। আর এই ঘ্রান শক্তি এমনি এমনি আসেনি। অর্চির মায়ের জীবনে ঘটে যায় নির্মম এক ঘটনা।আর সেই ঘটনার ফলশ্রুতিতে জন্ম নেয় অর্চির প্রতিভা। বিষয়টা ঠিক কি জানতে হলে বইটা পড়তে হবে। সেইসাথে এটাও জানতে পারবেন শার্লক হোমস কি হেরে যাবে ছোট্ট অর্চির কাছে। #পাঠ_প্রতিক্রিয়া : বইটার প্লট এক কথায় অসাধারণ। প্লট হিসেবে বইটা পড়ে কেন জানি তৃপ্তি পাইনি অথচ পাওয়া উচিত ছিল। বারবার মনে হয়েছে আরো ভালো করা যেত। তবে লেখকের এটা প্রথম অনুবাদ ছিল।কিন্তু একটা বিষয় অদ্ভুত লেগেছে। সেটা হলো একটা অশ্লীল লাইন। লাইন না দিলে ভালো লাগতো। পাঠ প্রতিক্রিয়ায় আর কি লিখবো সেটা মাথায় আসছে না। যাইহোক উপন্যাসের শেষে হোমসের একটা মজাদার গল্প আছে কিন্তু। নাম "জামাই উধাও"।
Thriller
1
#রবিজ_রকমারি_বুক_রিভিউ_কন্টেস্ট বইঃ চারমূর্তি লেখকঃ নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় প্রকাশনীঃ বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র ধরনঃ শিশু কিশোর এডভ্যাঞ্চার ও রোমাঞ্চকর উপন্যাস মূল্যঃ ১০০টাকা বাংলা সাহিত্য এক অসাধারণ চরিত্র নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের টেনিদা। ভালো নাম ভজহরি মুখুজ্যে। তার তিন চেলা। প্যালারাম বাড়ুজ্যে ওরফে প্যালা, ক্যাবলা মিত্তির, বাঙ্গাল হাবুল সেন। এরাই হলো পটলডাঙার বিখ্যাত চারমূর্তি। . কাহিনী সংক্ষেপঃ স্কুলের ফাইনাল পরীক্ষা শেষ হয়েছে। চাটুজ্যেদের রোয়াকে বসে আড্ডা মারছে টেনিদা, প্যালা, হাবুল। ক্যাবলা অনুপস্থিত। রেজাল্ট নিয়ে চিন্তায় আছে সবাই। চারমূর্তির মধ্যে ক্যাবলা নামে ক্যাবলা হলেও দারুণ মেধাবী ছাত্র। বাঙাল হাবুল সেনও উৎরে যাবে। প্যালা কোনরকম টেনেটুনে থার্ড ডিভিশন পেয়ে পাশ করলেও করতে পারে। কিন্তু টেনিদা নিয়েই যত চিন্তা। শ্রীমান টেনিদা তো ক্লাস টেন এ মনুমেন্ট হয়ে বসে আছে! কারো সাধ্য নেয় এক ইঞ্চি সরানোর! টেনিদার পাস-ফেল নিয়ে কত ব্যাখ্যা! তার ভাষ্যমতে “পাশ করতে না পারাটায় সবচেয়ে শক্ত!" অবশেষে ক্যাবলা একটা দারুণ খবর নিয়ে এলো। ক্যাবলার পিসেমশায় আসায় বাড়িতে দারুণ ভোজ হচ্ছে। তাই ক্যাবলার মা টেনিদা,হাবুল ও প্যালাকে নিমন্ত্রণ করেছে। খাওয়াদাওয়ার পর ক্যাবলার পিসেমশায় পরামর্শ দিলেন চারমূর্তিকে একসাথে ভ্রমণে যেতে। মেশোমশাই ওদের কে রাঁচির কাছাকাছি একটা জায়গা তে যাবার পরামর্শ দিলেন। রাচিঁর কাছে একটা পাহাড়ি এলাকা আছে নাম ঝন্টিপাহাড়। সেই পাহাড়ের উপর একটা বাংলো আছে যার মালিক ক্যাবলার পিসেমশায়। নানান কাহিনীর পর চারমূর্তি ঝন্টিপাহাড়ের উদ্দেশ্য রওনা দেয়। যাবার পথে দেখা “স্বামী ঘুটঘুটানন্দ” নামের এক সাধু বাবার সাথে। তার গুরুর নাম ছিল “ডমরু-ঢক্কা-পট্টনানন্দ” প্রমুখ। সেখানে এক কাণ্ড ঘটে।ঝন্টিপাহাড় জায়গাটা সুন্দর। থাকা খাওয়া সবকিছুর দারুণ ব্যবস্থা। কিন্তু রাতবিরেতে বাংলোর আশেপাশে অট্টহাসি শুনাযায়! শুরু হল ভূতের উপদ্রব! চারমূর্তি বেড়িয়ে পড়লো রহস্যের সন্ধানে। শুরু হলো তাদের রহস্য-রোমাঞ্চ অভিযান। চারমূর্তির ঝন্টিপাহাড়ের ভ্রমণ কাহিনী আর দারুণ অভিজ্ঞতার গল্প নিয়েই নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের লেখা বই "চারমূর্তি"। . পাঠপ্রতিক্রিয়াঃ আসলে এই বইটা পড়ার আসল মজা হচ্ছে ছোটবেলা। তবে এই বয়সে এসেও কম মজা পায়নি। বইটা পড়ে শুধু হেসেছি আর হেসেছি। টেনিদার শুধু খাই খাই স্বভাব, আর প্যালারাম বেচারার পেট খারাপ থাকার কারণে সামনে অধিক ভোজন পেয়েও খেতে না পাওয়া, তাদের নানান কাণ্ড কারখানা। টেনিদার প্যালা, হাবুল ও ক্যাবলা কে চাটি মারা, তাদের অভিজ্ঞতা সবকিছুই নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় এতো হাস্যকরভাবে তুলে ধরেছেন যে তা অসাধারণ। ছোট্ট একটা উপন্যাস। কিন্তু প্রতি লাইনে হাসির কথা। বইটা পড়ার পর বারবার খালি আফসোস হচ্ছিলো কেন বইটা আগে পড়লাম না। বইটি নিঃসন্দেহে অসাধারণ। কারো মন খারাপ থাকলে এই বই পড়লে নিশ্চিত মন ভালো হয়ে যাবে। হাসতে বাধ্য। - Bibi Rasheda Afrin Rumi
Thriller
1
#রকমারি_রিভিউ_প্রতিযোগ_মার্চ রিভিউ নংঃ৩ বইঃ থ্রি এ এম লেখকঃ নিক পিরোগ অনুবাদঃ সালমান হক প্রকাশনীঃ বাতিঘর প্রকাশনী পৃষ্ঠা: ১১২ মুদ্রিত মূল্যঃ১৩০ টাকা কাহিনী সংক্ষেপেঃ হেনরি বিনস এক অদ্ভুত চরিত্র- অদ্ভুত এক রোগে আক্রান্ত সে । দিনে মাত্র ১ ঘন্টা জেগে থাকে, বাকি ২৩ ঘন্টা ঘুমিয়ে কাটায় ।প্রতিদিন হেনরির ঘুম ভাঙে রাত ৩ টায় এবং সে ৪ টা পর্যন্ত জেগে থাকে তার পরের বাকি ২৩ ঘন্টা ঘুমিয়ে কাটিয়ে দেয়, এপ্রিলের কোন এক রাতে যখন ও ঘুমাতে যাবে ঠিক তখনি শুনতে পায় তার পাসের বাড়ি থেকে এক মেয়ের আর্তচিৎকার এবং তার কিছুক্ষণ পরই দেখে সেই বাসা থেকে বের হয়ে আসছে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট, কিছু করার আগেই তাকে ঘুমিয়ে পরতে হয় তার রোগের কারনে! পরবর্তী দিনগুলোতে হেনরি নিজেই কিভাবে সমাধান করে এই খুনের তাই এই নভেলার মূল আকর্ষন বলে মনে হয়েছে আমার। দিনে যে মাত্র এক ঘন্টা জেগে থাকে সে খুঁজে বের করতে চাইলো এই রহস্য । তার পক্ষে কি এই অসাধ্য কাজটা করা সম্ভব? রোলারকোস্টার গতির, টুইস্টে ভরপুর এই সিরিজটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আবিষ্ট করে রাখবে পাঠককে । পাঠ্য প্রতিক্রিয়াঃ প্রতিটি নভেলাই দারুন গতিশীল আর মজাদার, সাসপেন্সের সাথে সাথে আছে হিউমার, টকের সাথে ঝালের কম্বিনেশনের মত। নিক পিরোগের সৃষ্টি কিছুটা অদ্ভুত ধরনের মেডিকেল কন্ডিশনে ভোগা নায়কের নাম হেনরি বিনস আর আর এই পুরো সিরিজটা হেনরি বিনস সিরিজ নামেই বেশ বিখ্যাত, আমি এখন পর্যন্ত ৫ টি অনুবাদ হাতে পেয়েছি – অনুবাদক সালমান হক অসাধারণ কাজ করেছেন, খুবই সাবলীল এবং সুখপাঠ্য অনুবাদ বলতেই হবে! যাইহোক হেনরি বিনস ২৪ ঘন্টার দিনে শুধু ১ ঘন্টা জেগে থাকে আর বাকি ২৩ ঘন্টা ঘুমায়, এই অদ্ভুত ধরনের মেডিকেল কন্ডিশন যেহেতু তারই প্রথম তাই তার নামানুসারে এই কন্ডিশনের নাম ও ” হেনরি বিনস” তাই সে শুরুতেই বলে আমি হেনরি বিনস এবং আমার হেনরি বিনস আছে। হেনরির একটা পোষা বেড়াল আছে যার নাম ল্যাসি এবং সে খুব স্বাছন্দে তার সাথে কথা বলে! সবশেষে আমি খুব উপভোগ করেছি এই ছোট্ট উপন্যাস সমৃদ্ধ সিরিজ, যতটুকু জানতে পারলাম লেখক আরো দুটি উপন্যাস লিখবেন এই সিরিজের অপেক্ষায় রইলাম!
Thriller
1
রকমারি_রিভিউ_প্রতিযোগ_জুলাই বইয়ের নাম: নিষিদ্ধ লোবান লেখকঃ সৈয়দ শামসুল হক প্রকাশকঃ অনন্যা ধরন: মুক্তিযুদ্ধের উপন্যাস উপন্যাসের পটভূমি: বিলকিসের গন্তব্য জলেশ্বরী,তাঁর যাত্রাপথের শুরু ছিল ঢাকা, নবগ্রামে ট্রেন এসে ফেরত চলে গেল তোরশাতে। জলেশ্বরীর দুরুত্ব এখনো পাঁচ মাইল, কোথাও কোন যান নেই। হাতে গোনা কিছু মানুষ দেখা যাচ্ছে,যান থাকলেও জলেশ্বরী তে যাওয়ার মনোভাব কারোর নেই। পরিবেশটাই কেমন নিরবতায় সায় দিচ্ছে। পায়ে হেটে হলে ও বিলকিস কে জলেশ্বরী যেতেই হবে,তাঁর মন উদ্বিগ্ন হয়ে আছে তার মা, বোন ও ভায়ের জন্য। সেই ২৫ শে মার্চ রাত থেকে তাঁর স্বামী আলতাফের কোন খোঁঁজ নেই। কখনো খোঁঁজ পাবে সে আশা সে করে না। নাড়ির টান কিনা না করতে পারে, পাঁচ মাইল কেন হাজার মাইল ও পায়ের হাটার মতো দুঃসাহসও পেয়ে যাওয়া একটা মুহুর্তের ব্যপার মাত্র। সে পায়ে হেটেই জলেশ্বরীর দিকে ছুটে চললো। স্টেশনে নামার পর থেকেই সে লক্ষ্য করেছে, ১৭-১৮ বছরের একটা ছেলে তাকে অনুসরন করছে। হাটার মধ্যেই মনে হচ্ছিলো কেউ তার পিছু নিয়েছে,পেছনে তাকিয়ে সেই ছেলেটাকেই আবিষ্কার করলো বিলকিস যাকে সে ইষ্টিশানে দেখেছিলো।ছেলেটা একটু সামনের দিকে এগিয়ে চুপ করে দাড়িয়ে রইল।বিলকিস কিছু প্রশ্ন করলে সে চুপ করে থাকে, পরক্ষনে বলে উঠে আপনি জলেশ্বরীতে যাবেন না।বিলকিস তাঁর সিদ্ধান্তে অটল, তাকে যেতেই হবে।তবে ছেলেটার সরলতা আর মিনতি তাকে স্পর্শ করে যায়। সময়ের বাঁকে বাঁকে জীবনের প্রতিটি মোড়েই মানুষের জীবনের নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়,হতে পারে সেটা নতুন কোন ঘটনার জন্য,হতে পারে কোন পরিচিত মানুষের সান্নিধ্য লাভের জন্য অথবা হতে পারে অপরিচিত কোন মানুষের সাথে পরিচিত হয়ে।সময়ে সময়ে এই সম্পর্ক গুলো রক্তের সম্পর্ক কেও হার মানায়। হ্যাঁ বিলকিসের সাথে এই ছেলেটার পরিচয় এমনই একটা সম্পর্কের সুচনা করে। পথ চলার শেষ সময়টুকু পর্যন্ত বিলকিসের সহযোগী হয় এই ছেলেটাই, প্রদীপ ওরফে সিরাজ। সিরাজ বিলকিস কে তার বড় বোনের আসনেই আসিন করে। তারা দুজনেই জলেশ্বরীর দিকে পা বাড়ায়,সন্ধ্যের দিকে তারা পদার্পন করে জলেশ্বরীতে, কিন্তু বাড়িতে মা, বোন, ভাই কাউকেই না দেখে বিলকিস চিন্তিত হয়ে পড়ে। সিরাজ গ্রামে খোঁঁজ নিয়ে জানতে পারে বিলকিসের মা বোন নদীর ওপারে চলে গেছে আর তারা নিরপাদেই আছে। কিন্তু তার ভাইকে হত্যা করেছে পাকিস্তানি সৈন্যরা।ভায়ের মৃত্যর খবর সিরাজ বিলকিস কে দেয় না। কিন্তু বিলকিস পরক্ষনে ঠিকি জানতে পারে তার ভায়ের মৃত্যুর খবর। আরো জানতে পারে তার ভাই সহ আরো অনেক কে হত্যা করে বাজারের মাঠে ফেলে রেখেছে পাকিস্তানিরা। লাশ ছোয়ার প্রতিও কড়া নিষেধাক্কা জারি করা হয়েছে। কথায় আছে অধিক শোকে মানুষ পাথর হয়ে যায়,এই সময়টাতে ভোতা হয়ে যায় ইন্দ্রীয় এর কার্য ক্ষমতা। ভাইয়ের মৃত্যু সংবাদ তার কাছে নতুন মনে হয় নি, মনে হয়েছে শোনা কথাই সে দ্বিতীবার শুনেছে। দৃঢ় হয়েছে তার মনোবল, তাঁর মাথায় নতুন চেতনা জেগে উঠেছে, সে দাফন করবে তার ভায়ের লাশ।পাক-বাহিনী কিভাবে তাকে প্রতিরোধ করে সেটাই সে দেখতে চায়। আর তার সাথে সঙ্গ দিয়েছিল সিরাজ। কে এই সিরাজ? কি তার সম্পর্ক বিলকিসের সাথে? নাকি সে শুধুই দায়িক্ত পালন করেছে? দায়িত্ব হলেও কিসের দায়িত্ব সেটা? তার নাম কেন প্রদীপ থেকে সিরাজ হলো? বিলকিস কি আদৌ তার ভায়ের লাশ দাফন করতে পেরেছিল? এই সকল প্রশ্নের সমাধানের জন্য আপনি পড়তে পারেন সৈয়দ শামসুল হক এর নিষিদ্ধ লোবান। উপন্যাসের প্রেক্ষাপট: সৈয়দ শামসুল হক এর “নিষিদ্ধ লোবান” বইটি ৭১’ এর মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে লেখা। লেখক সৈয়দ শামসুল হক, এখানে তুলে ধরেছেন পাক-বাহিনী আর তাদের সহযোগীদের(দেশীয় শত্রু) তান্ডবের কিছু নমুনা। বিলকিস আর সিরাজই উপন্যাসটির প্রধান চরিত্র। তাছাড়া রয়েছে আলেফ মোক্তার, ইষ্টটিশান মাষ্টার, ইনজিন ড্রাইভার, পাকবাহিনীর মেজর, আর্দালি আর কিছু বিহারী।তবে বিলকিস আর সিরাজই মুখ্য চরিত্র। গুটি কয়েক চরিত্র এর মধ্য দিয়েই লেখক ফুটিয়ে তুলেছেন লাখো মানুষের আর্তনাদ।তুলে ধরেছেন পাকিস্তানিদের নির্মমতা,নিষ্ঠুরতা আর কিভাবে বিহারীরা বাঙালীদের সাথে আচরন করেছে। নিষিদ্ধ লোবান উপন্যাস হতে পাওয়া সৈয়দ শামসুল হকের কিছু উক্তি: সৈয়দ শামসুল হক কিছু উক্তি উপস্থাপন করেছেন উপন্যাসটিতে, যেগুলো ঐ সময়ের সাথে তো যায়ই আবার চিরন্তন সত্য হিসেবে নিলেও ভুল হবেনা। নিষিদ্ধ লোবান বুক রিভিউ লেখার সময় উক্তিগুলোকে একত্র করা হয়েছে। ১.“কখনো কখনো সমস্ত মানুষের মুখ এক হয়ে যায়”। ২ “বিষয়টা এমন যে যখন একজন ব্যক্তি আত্মকেন্দ্রিকটা ভুলে গিয়ে অনেকের মাঝে নিজেকে খুজে নিতে পারে অন্যের ভালো মানে নিজের ভালো মনে করতে পারে তখনি কেবল এমন টা হতে পারে”। ৩.“পালাবার সবচেয়ে ভালো জায়গা শত্রুর ঘাটির ভেতরে”। ৪.“কেউ ভেঙে পড়ে না,শোক কখনো এত বড় নয় যে মানুষ মাথা তুলে দাড়াতে পারে না”। ৫.“সোনা পুড়লে কিন্তু আরো খাঁটি হয়। মানুষ কে বিপদ দিয়ে বিচার করলে অনেকটা এমরকমই হবে। মানুষের মন কে আরো দৃঢ় আরো শক্তিশালী করার জন্যই বিপদ গুলো হানা দেয় তাদের মনের দুয়ারে। আর মানুষ জন্মের আগ থেকেই বিপদের সাথে যুদ্ধ করে করেই পৃথিবীর আলো দেখে। তাই শোক কখনো সাহসের ঊর্ধ্বে না”। ৬.“চাঁদ কখনো আলো দেয়,কখনো মেঘের আড়ালে কৃপণ হয়ে যায়”। উক্তিটি লেখক খুব স্বাভাবিক অর্থেই ব্যবহার করেছন। আকাশ মানেই চাঁদ আছে আর সাথে মেঘের ও অভাব নেই। তাই মাঝে মাঝে চাঁদ অনীচ্ছাতে হলেও কৃপণ হয়। বাংলা সাহিত্যের অন্যান্য লেখকদের উক্তিগুলো থেকে তাঁর উক্তিগুলো বেশ পাকাপোক্ত এবং হৃদয়চ্ছেদী। উপন্যাস নিয়ে নিজস্ব কিছু কথা: লেখক তার "নিষিদ্ধ লোবান" উপন্যাসটিতে একটা নির্দ্দিষ্ট জায়গা আর কিছু চরিত্র নিয়ে লিখেছেন। কিন্তু ফুটিয়ে তুলেছেন পুরো যুদ্ধের ভয়াবহতা। যুদ্ধের সময় সাধারন মানুষের ভাবনা, স্বজনদের হারিয়েও সাহসি হয়ে ওঠা, নতুন উদ্যম নিয়ে শত্রুর মোকাবেলা করা। তাছাড়া পাক-বাহিনীর বাঙালির প্রতি আচরন টাও উপন্যাসে বিশেষভাবে লক্ষ্যনীয়। পাকিস্তানিরা বাঙালিদের কে কুকুরের সাথে তুলনা করেছে, তাদের কে হত্যা করে ফেলে রেখেছে যাতে শেয়াল বা শকুন খেয়ে যায়। এমন কাজ মানবিকতার মধ্যে পরে না। তখনকার সময়ে যারা বিহারী ছিল তাদের কার্যক্রম আরো নিষ্ঠুর। সাধারন মানুষের বাড়ি ঘর লুঠ করেছে তারা,পাকিস্তানিদের কে বাড়ি চিনিয়ে দিয়েছে, এক কথায় তারা পাকিস্তানিদের দোসর ছিলো। বিহারীদের বিষাক্ত কার্যকলাপের একটা জ্যান্ত উদাহরন:আলেফ মোক্তার কে জুতোর মালা গলায় দিয়ে মাজায় দড়ি বেধে সারা গ্রাম ঘোরানো। একটা অন্ধ নিরীহ বাঙালিকে, শুধু বাঙালি বলে, এই অন্ধ লোকটাকে অসহনীয় নির্যাতন সহ্য করতে হয়েছে তাও আবার বিহারীদের থেকে যারা এদেশে থেকেছে, এই দেশের অন্ন জল খেয়েছে। আবার,বাঙালিদের প্রতি পাকবাহিনীর চিন্তা চেতনার দিক গুলোও মেনে নেয়ার মতো না।তারা বাঙালিদের কে কুকুর ভাবে তারা ভাবে বাঙালির রক্ত শুদ্ধ না, তারা প্রকৃত মুসলমান না। বিলকিসের প্রতি মেজরের উক্তি ছিল এরকম- “আমি তোমায় সন্তান দিতে পারবো, উত্তম বীজ উত্তম ফসল। তোমার সন্তান খাঁটি মুসলমান হবে। আমরা সেই সন্তান তোমাদের দেব, তোমাকে দেব, তোমার বোনকে দেব, তোমার মাকে দেব, যারা হিন্দু নয়, অবাধ্য নয়,আন্দোলন করে না,জাতির এই খেদমত আমরা করতে এসেছি”। উক্তিটার মাধ্যমে পাকবাহিনীর নিকৃষ্ট ব্যবহারের চিত্রই ফুটে ওঠে। তারা একই সাথে ধর্ষণ করেছে মা মেয়েকে।এর থেকে নিকৃষ্ট আর কি হতে পারে। আর এটা নাকি ছিল নাকি তাদের খেদমত, বড়ই হাস্যকর। উপন্যাসে বিলকিস কে আমরা একজন সাহসী নারী হিসেবেই লক্ষ্য করি। নিজের আদরের ভায়ের মৃত্যু সংবাদ তাকে দমিয়ে দেয় নি আরো সাহসী ও দৃঢ় করেছে। ইচ্ছা জাগিয়েছে পাক-বাহিনীর বিরুদ্ধে যেয়ে ফেলে রাখা লাশ গুলোকে দাফন করার। জীবনের শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত সে তার সাহস হারায় নি, সাহস ও বুদ্ধিমত্তার দ্বারা সে নিজের সম্মান তো রক্ষা করেছে। উপরন্তু একজন পাক-বাহিনীর মেজর কে মৃত্যু দন্ড শাস্তি দিতে পেরেছে। তার সাহসী কার্যকলাপ সত্যি প্রশংসার দাবি রাখে। অপর দিকে পুরো উপন্যাসে বিলকিস কে সাহায্য করেছে সিরাজ ওরফে প্রদীপ, যে কিনা বিলকিসের রক্তের সম্পর্কের কেউ না। তবুও সে যা করেছে বিলকিসের জন্য, রক্তের সম্পর্কের কেউ ও এমন টা করে না। একটু গভীরভাবে ভাবলে মুলত সে দেশের জন্য কাজ করেছে। আর সবার মতো সে ইন্ডিয়া চলে যায়নি। নিজের বাবা, মা, ভাই ও বোন কে হারিয়ে সে চেয়েছে দেশে থেকে দেশের জন্য কাজ করতে। যুদ্ধের সময় ধর্ম বৈষম্য টা খুব প্রকট ছিল। হিন্দুরাই সব চেয়ে বেশি জীবনের ভয়ে থাকতো। তাই প্রদীপকে ও সিরাজ হতে হয়েছে। এটা সে চায় না, সে আবার প্রদীপ হতে চায় আর সেটা বাংলাদেশে থেকেই। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে জানা, বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে অবশ্য করনীয়, তাই যতটুকু না জানলেই নয় ওতটুকুই শুধু আমরা জানি। একটু বিস্তারিত ভাবে জানার সুযোগ হয়ে ওঠে না আর হয়ে উঠলেও সব সময় ইচ্ছা থাকে না। আমরা বুলি আওড়ানোর মতোই ভাসা ভাসা ভাবে পড়ে থাকি যুদ্ধের ইতিহাস। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত ছিল বলেও অনেকে যুদ্ধ সম্পর্কে কিছুটা জানে। নিজের উদ্যোগে যুদ্ধের ইতিহাস পড়ে এমন মানুষ কমই পাওয়া যাবে। যারা উপন্যাস পড়তে ভালবাসেন তাদের জন্য নিষিদ্ধ লোবান বইটি দুটি কাজ করবে, প্রথমত সে পড়ার মাধ্যমে বিনোদন পাচ্ছে দ্বিতীয়ত যুদ্ধের ভয়াবহতা সম্পর্কেও জানতে পারছে।
War
5
মিসির আলি সিরিজের বই। "নিশীথিনী" হচ্ছে "দেবী" এর দ্বিতীয় পর্ব। মিসির আলী সিরিজের বই। "নিশীথিনী" হচ্ছে "দেবী" এর দ্বিতীয় পর্ব। রহস্য এবং আধিভৌতিক টাইপের বই। রাণুর মৃত্যুর পর নীলুর মধ্যে রানুর ছায়া পড়ে, নীলু রাণুর অতিপ্রাকৃত ক্ষমতা বা ESP অর্জন করে। যে দেবী রানুর মধ্যে বাস করত সে নীলুর শরীরে ঢুকে পড়ে - যা মিশির আলীকে বিষ্মিত করে, কিন্তু তিনি বিশ্বাস করেন না। তবে এ গল্প ফিরোজকে নিয়ে। ফিরোজ মোহনগঞ্জে তার বন্ধু আজমলের বাড়ী বেড়াতে গিয়ে অপ্রকৃতিস্থ হয়ে ফিরে আসে। কারণ অজ্ঞাত। হঠাৎ হঠাৎ সে হিংস্র হয়ে পড়ে। তার মাথায় খুন চেপে যায়। হিংস্র অবস্থায় তার কাছে একটি মানুষ আসে, তার সাথে কথা বলে। মিশির আলীর টেপ রেকর্ডারে তার আওয়াজও ধরা পড়ে। ফিরোজের সেকেন্ড পার্সোনালিটি - ছোট চৌধুরী। হানিফা মিশির আলীর বাড়ীর কাজের মেয়ে। এক রাত্রে জ্বরের ঘোরে সে ইংরাজীতে কথা বলে উঠলে মিশির আলী বুঝতে পারে সে বড় ঘরের মেয়ে। তিনি তার বন্ধু পুলিশ কমিশনার সাজ্জাদের সাহায্য চান। তিনি হানিফা আর ফিরোজ দুজনের ব্যাপারেই খোঁজ শুরু করেন। মিশির আলী ফিরোজের রহস্য উদ্ধারে মোহনগঞ্জে যান। আর এদিকে ফিরোজ একের পর এক হত্যাকান্ড ঘটাতে থাকে। নীলু বুঝতে পারে ফিরোজ এবার মিশির আলীকে হত্যা করবে। মিশির আলীকে কেন্দ্র করে নীলু আর ফিরোজ - এবার লড়াই তাদের মধ্যে; দেবী আর ছোট চৌধুরীর মধ্যে - যাদের অস্তিত্ব মিশীর আলীর কাছে নেই। সত্যিই কী নেই?
Thriller
1
রম্যলেখক আহসান হাবীব বেশ কিছুদিন হল কিশোরদের জন্যে অ্যাডভেঞ্চার উপন্যাস লেখাও শুরু করেছেন। তাঁর ‘একটি প্রায় ভয়ংকর গল্প’ও সে রকমই একটি কিশোর উপন্যাস। বইটি তাম্রলিপি প্রকাশনী থেকে ২০১৩ সালের একুশের বইমেলায় প্রথম প্রকাশিত হয়। লেখক এই বইয়ের ভূমিকাতেই লিখেছেন, শিশু-কিশোরদের জন্যে লেখা বেশ কঠিন কাজ। আমিও লেখকের সাথে এই ব্যাপারে পুরোপুরি একমত। শিশু-কিশোরদের জন্যে লিখতে গেলে সবসময় খেয়াল রাখতে হয় গল্পটি যেন অতিবাস্তব না হয়ে যায়। আবার একই সাথে লক্ষ্য রাখতে হয় গল্পের কাহিনী যেন পুরোপুরি বাস্তবতা বিবর্জিতও না হয়। আহসান হাবীব তাঁর ‘একটি প্রায় ভয়ংকর গল্প’ উপন্যাসে এই দুটি বিষয়ে লক্ষ্য রেখেই অসাধারণ একটি কিশোর অ্যাডভেঞ্চার রচনা করেছেন। এই গল্পের নায়ক হল মুশফিক। তবে মুশফিকের বন্ধু বাদলও সমান গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র। মুশফিক তাদের ক্লাসের একজন ছাত্রী জেনিফারকে পছন্দ করে। লেখকের ভাষায় মুশফিকের জেনিফারকে একটু ‘ইয়ে’ লাগে। কিন্তু সমস্যা হল ইদানীং জেনিফারকে সোহেলের সাথে বেশি দেখা যায়। তারা আবার একসাথে জেনিফারের বাসায় প্রাইভেটও পড়ে। এদিকে তারা আর কী কী করে সেসব দেখার জন্যে মুশফিকের মাথায় এক অদ্ভুত বুদ্ধি আসে। সেটা হল, মুশফিককে অদৃশ্য হতে হবে। তাহলেই সে যখন তখন জেনিফারদের বাসায় গিয়ে দেখতে পারে জেনিফার আর সোহেল কী করে। অদৃশ্য হওয়ার জন্যে মুশফিক বাদলের বুদ্ধিতে অমাবশ্যার রাতে এক সাধুর শরণাপন্ন হল। সেই থেকে শুরু হল অ্যাডভেঞ্চার। সেসব অ্যাডভেঞ্চারের মধ্যে আছে মুশফিক আর বাদলের গভীর রাতে শ্মশানে গিয়ে এক মহিলাকে খুনের হাত থেকে বাঁচানো, পরদিন এই ঘটনার কারণে পুলিশের জেরার সম্মুখীন হওয়া, সেই ঘটনার সূত্র ধরেই কিডন্যাপড হয়ে বস্তাবন্দী অবস্থায় মেঘনা নদীতে পড়ে যাওয়া এবং এক মাঝির সহায়তায় সেখান থেকে উদ্ধার পাওয়া। এভাবে একের পর এক অ্যাডভেঞ্চার চলতেই থাকে। শেষে এসে দেখা যায়, সব কিছুর মূলে রয়েছে এক অতি আশ্চর্য হীরক খণ্ড। শেষ পর্যন্ত কী হবে? মুশফিক কি সেই হীরক খণ্ডটি উদ্ধার করতে পারবেন? আর জেনিফারেরই বা কী হবে? সে কি মুশফিকের কাছে ফিরে আসবে। এসব জানতে হলে পড়তে হবে এই দুর্ধর্ষ কিশোর উপন্যাসটি। এই উপন্যাসের সবচেয়ে বড় গুণ হল এর অস্বাভাবিক দ্রুতগতির কাহিনী। একটা ঘটনার পর আরেকটা এত দ্রুত আর নাটকীয়ভাবে ঘটতে থাকে যে নিঃশ্বাস ফেলার সময় পাওয়া যায় না। তাই এটা নির্দ্বিধায় বলা যায়, অ্যাডভেঞ্চার প্রিয় কিশোর যারা আছো তারা খুব সহজেই আহসান হাবীবের ‘একটি প্রায় ভয়ংকর গল্প’ বইটি হাতে নিয়ে রোমাঞ্চের দুনিয়ায় মুহূর্তেই হারিয়ে যেতে পারো।
Thriller
1
গোয়েন্দা সংস্থা নিয়ে আমার আগ্রহ অনেক বেশী তাই এই বইয়ের মূল্য আমার কাছে মানিকের মতোই। এক সাথে মানিক জোড় বলা যায়। মোসাদ অনেক বড় বিষয় হলেও এই বইটিতে তাদের এমন কিছু অপারেশনের কথা বলা হয়েছে যেগুলা সত্যি অনেক কঠিন ছিলও। এই বইতে এমন সব ঘটনা রয়েছে যেগুলা থেকে মুসলিম বিশ্বের সাথে ইসরাইলের সম্পর্কের আন্দাজও পাওয়া যাবে। জানা যাবে কিভাবে তারা কাজ করে। তাদের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ালে কিভাবে সেটাকে দূর করে দেয়। যেহেতু অনুবাদ বই তাই অনুবাদ নিয়ে কিছু বলতে হয়। আমার কাছে ভালোই লেগেছে। সহজবোধ্য ছিলও। তবে ভৌগলিক কিছু জ্ঞান থাকলে আরও বেশী মজা পাবেন। না থাকলেও পড়া যাবে। ইতিহাস নিয়ে জানার থাকলেও বইটি পড়তে পারেন। মোসাদ এক এবং দুই একই বইয়ের দুইটি খণ্ড। তাই দুইটি বই নিয়ে একসাথেই রিভিউ দেয়া যায়। আমার জন্য বইটি ৪.৫/৫
Political
3
মৃন্ময়ীর বাবার আসল নাম মইনু মিয়া। তার বাবা ছিলেন দর্জি, তাই ছেলেও দর্জি হবে ভেবে এই নাম রেখেছেন। কিন্তু মইনু মিয়া বাপ দাদার পেশায় না গিয়ে কর্মজীবন শুরু করেছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত পদার্থবিদ্যার অধ্যাপক হিসেবে। সেকেন্ড ইয়ারে পড়ার সময়েই অবশ্য তিনি এফিডেভিট করে নিজের নাম বদলে রেখেছেন মাইন খান।বাপ দাদার রক্ত শরিরে আছে বলে দর্জি বেপারটা রক্তে মিশে আছে। তিনি অধ্যাপনা ছেড়ে দিয়ে এখন গার্মেন্টসের ব্যবসা করেন। তার গার্মেন্টসের নাম মৃন্ময়ী এ্যাপারেলস। এই বেপারটা মৃন্ময়ীর ভাল্লাগেনা। বিদেশি লোকজন কলারে মৃন্ময়ী লেখা শার্ট পরবে।মানুষের ঘাড়ের ঘামের সাথে বসবাস। ওর মাঝে মাঝে ইচ্ছা করে বাবার মত এফিডেভিট করে নাম বদলে ফেলবে। মৃন্ময়ীর বাবার এক বন্ধু আছেন আজাহার নামে। উনাকে মৃন্ময়ী খুব পছন্দ করে।ওর কেন জানি মনে হয় ওর বাবা আজাহার চাচাকে ভয় পান। ব্যবসার বিভিন্ন কাজে যদিও আজাহার চাচার সাহায্য ওর বাবা নিয়ে থাকেন। আজাহার সাহেব বিভিন্ন দুই নম্বরি ব্যবসা করেন। একবার তিনি উমরা হজ্জ করে আসার সময় মৃন্ময়ীর জন্য মিষ্টি তেতুল ও আকিক পাথরের তসবিহ নিয়ে আসেন। আর ওর বাবার জন্য আনেন অদ্ভুত এক উপহার। কাফনের কাপর। এই উপহার অন্য কেউ দিলে ওর বাবা রাগারাগি করার কথা কিন্তু আজাহার চাচা দেয়াতে তিনি কিছু বলতে পারেননি।আজাহার চাচার এক লাজুক ছেলে আছে, শুভ। যে ছোটবেলায় মৃন্ময়ীকে বিয়ে করতে চেয়েছে। মৃন্ময়ীর এক ভাই আছে।যদিও সে মৃন্ময়ীর আপন ভাই না। মৃন্ময়ীর বাবা যুবক বয়সে বিয়ে করেছিলেন, সেখানে এই ছেলে হয়। এরপর তিনি বিদেশে চলে যান এবং সেখান থেকেই তাকে ডিভোর্স দিয়ে দেন।তারপর তিনি মৃন্ময়ীর মাকে বিয়ে করেন। মৃন্ময়ীর যখন ৫ বছর বয়স তখন টগর ওদের বাড়িতে থাকতে আসে টগর। মৃন্ময়ীর চোখে টগর হচ্ছে ঢাকা শহরের সবথেকে সুন্দর তিনজন যুবকের মধ্যে একজন। টগরকে অনেক ভালবাসে মৃন্ময়ী। অবশ্য এমন ভাইকে সব বোনই ভালোবাসবে। রাত দুটার সময়ও মৃন্ময়ী যদি ওর ভাইকে বলে দুটা দেশি মুরগির ডিম এনে দাও। সে কোনও প্রশ্ন ছাড়াই এনে দিবে।টগরের কাছে কিছুদিন যাবত একটা ছেলে আসে।ওর নাম টুনু। মৃন্ময়ীর বাবার ধারনা সে পুলিশের ভয়ে এবাড়িতে রাত কাটাতে আসে। মৃন্ময়ীদের কলেজে নতুন একজন টিচার এসেছে যে নিজেকে সবার থেকে আলাদা প্রমান করতে চায়। একারনে উনার উপর রেগে আছে মৃন্ময়ী। অবশ্য রাগার আরেকটা গুরুতর কারন আছে। তিনি মৃন্ময়ীকে আলাদা করে তার সাথে দেখা করতে বলেন। নানা কথার পর বলেন চলো তোমাকে তোমার বাসায় নামিয়ে দিয়ে আসি।তিনি জিজ্ঞেস করেন মটর সাইকেলে চড়তে তোমার সমস্যা নেই তো? তখন ও ঝোকের মাথায় বলে ফেলে সমস্যা নেই। তারপর চিন্তা করতে থাকে এটা বলা ঠিক হয়নাই। তখন স্যার ওকে বলেন, মোটর সাইকেলের বেপারটায় তুমি হুট করে রাজি হয়েছো তাইনা? আসলে তুমি মোটর সাইকেলে চড়তে পছন্দ করোনা? তখন মৃন্ময়ী বলে হ্যা। তখন তিনি তার টেবিল থেকে একটা কাগজ তুলে মৃন্ময়ীকে দেন। সেটাতে লেখা ছিল, মৃন্ময়ী প্রথমে মোটর সাইকেলে চড়তে রাজি হবে এবং পরে চড়তে চাইবেনা। একারনেই মৃন্ময়ী উনার উপর রেগে আছে। আচ্ছা মৃন্ময়ী কি এই স্যারের প্রেমে পড়ে যাবে? নাকি আজাহার চাচার ছেলে শুভর প্রেমে পড়বে? কিজানি। এমনও হতে পারে যে ওর ভাই টগরের কাছে টুনু নামে যে ছেলেটা আসে, যে কিনা পুলিশের ভয়ে পালিয়ে বেড়ায় তার প্রেমেও পড়তে পারে। জগৎ বড়ই রহস্যময়।
Fiction
0
#রকমারিরিভিউপ্রতিযোগ বই-লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে লেখক-রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ। নয়মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ করে স্বাধীনতা অর্জনের ইতিহাস আমাদের। এই ইতিহাস সম্পর্কে কতো কতো পুস্তক রচিত হয়েছে তার কোন ইয়াত্তা নেই। কতো কতো কাহিনী! কতো কতো মুক্তিযোদ্ধার অভিজ্ঞতার এই মুক্তিযুদ্ধ । কতো কতো ত্যাগ ধংস্ব, কতো নির্যাতন! কতো অপেক্ষার পর আমাদের এই স্বাধীনতা। "লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে" মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কিত আরো একটি রচনা। লিখেছেন রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম। তিনি নিজেও একজন মুক্তিযোদ্ধা। নিজে যুদ্ধ অংশগ্রহন করেছেন। দেখেছেন, জেনেছেন তখনকার সময়ের মানুষের অবস্থা। আর সে সব কঠিন দিনের অভিজ্ঞতা লিপিবদ্ধ করেছেন এই বইয়ে। মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি যুদ্ধের প্রথমদিকে ১ নং সেক্টরের সাব কমান্ডর ছিলেন। এরপর সেক্টর কমান্ডার হিসেবে বীরত্বের সাথে যুদ্ধ করেছেন মুক্তিযুদ্ধের বাকি সময় । বইয়ে তিনি উল্ল্যেখ করেছেন, মুক্তিযুদ্ধের প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধাদের এবং দেশের অবস্থা। পুরো নয় মাসের রক্ত ক্ষয়ী যুদ্ধের খন্ড খন্ড চিত্র। পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর নৃশংস হত্যাকান্ডের বিবরণ। একের পর এক মানুষের মৃত্যু। দেশে থাকা মানুষদের কি নিদারুণ অবস্থা। দেশ থেকে শরণার্থী হয়ে যাওয়া মানুষ গুলোর কথাও বলেছেন। যুদ্ধের বিভিন্ন সময়ের নিজ অভিজ্ঞতার প্রতিটা গতি প্রকৃতি বর্ণনা করেছেন তিনি । দ্বায়িত্বরত ১ নং সেক্টর সহ বিভিন্ন সেক্টরের বর্ণনা দিয়েছেন। ৩৯ টি অধ্যায়ে সেই বিবরণ লেখা হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের ইতাহাস। বস্তু সম্পর্কে লেখক ভূমিকায় উল্লেখ করেছেন, ‘লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে গ্রন্থটির মূল অংশে সামরিক ও গেরিলা তৎপরতার বিবরণ এবং রাজনৈতিক অন্যান্য প্রাসঙ্গিক বিষয়ে আলোকপাত করা হয়েছে।’ বইয়ের প্রথমে স্বাধীনতা যুদ্ধের বিভিন্ন কারন বিশ্লেষণ করেছেন। সেইই পূর্ব পাকিস্তান সময়ের নাশকতা। কি করে বাধ্য করেছিলো আমাদের মুক্তি যুদ্ধ করতে। এছাড়া যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে সশস্ত্র বাহিনীদের যুদ্ধের অংশগ্রহনের বিভিন্ন ঘটনা, নিজে সশস্ত্র ভাবে যুদ্ধে অংশ গ্রহন থেকে শুরু করে একটি সেক্টরের দায়িত্বে থাকা, সব বর্ণনা করেছেন। লেখক নিজে যুদ্ধের এই অবস্থানে যুক্ত ছিলেন বলে তাঁর বর্ণনাকে যুদ্ধের দলিল মনে হলেও ঠিক তা নয়। কেন না বর্ণনা টা তিনি সংযুক্ত থেকে করেছেন। আর এই কারনে অনেকটা আত্মজীবনীর মতো মনে হয়। তাঁর নিজের যা অভিজ্ঞতা। যা তার মনে হয়েছে। যা তিনি উপলব্ধি করেছেন তাই বর্ণনা করেছেন।মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস মানে হত্যাকান্ডের বিশাল বিবরণ। অগনিত মানুষের আত্মত্যাগ, হত্যাযজ্ঞের বিনিয়ময়ে আমাদের এই স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছ। লেখক বেশ সাবলীল ভাবে লিখে গিয়েছেন সে সময়ের স্মৃতি কথা। যেহেতু তিনিও ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের প্রত্যক্ষদর্শী। আর তাই ঘটনার সততা যাচাইয়ের কোন রকম সন্ধেহের অবকাশ নেই।
Political
3
ঢাকার বাসিন্দা হিসেবে সবসময় আমার কৌতূহল ছিল এই শহরের ইতিহাস সম্বন্ধে।কিন্তু এই পর্যন্ত যেসব বই পড়েছি এই বিষয়ে তার সবগুলোতে পুঁথিগত ইতিহাস ছিল,ছিল না মানুষের গল্প।কিন্তু "ঢাকা পুরাণ" পড়ার পর এই আক্ষেপ ঘুচেছে।লেখক ঢাকার ইতিহাস তুলে ধরেছেন গল্পের ছলে।ঢাকার সাধারণ মানুষের ইতিহাস জানার জন্য এই বইটি অবশ্য পাঠ্য।
War
5
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা বইয়ের নাম:ইস্টিশন লেখকের নাম:মুহম্মদ জাফর ইকবাল প্রকাশনী:তাম্রলিপি মূল্য:১৭৬টাকা ইস্টিশন উপন্যাসটি জালাল,ইভা এবং ইস্টেশনে থাকা কিছু ছেলেমেয়ে নিয়েই তৈরী। উপন্যাসে মায়া,জালাল,জেবা,শাজাহানের মতো শিশুদের কথা বলা হয়েছে।যাদের ঘর রেললাইনের পাশে।যাদের ঠিকানা ইশটিসন।যাদের জীবন জটিলতায় ভরা থাকলেও যারা নিজের মাঝে খুঁজে পায় কোমলতা ও বেঁচে থাকার অদ্ভুত শক্তি। এই উপন্যাস এ অন্যতম চরিত্র ইভা যে ইস্টিশনের সকল ছেলেমেয়েদের আপন করে মায়াজালের বন্ধনে আবদ্ধ করে রাখে। ইস্টিশন বইটি আমাদের সমাজের বাস্তবতার সাথেই মিলে যায়। যা বরই করুন।কিছু পথচারী শিশু যারা সেই রেললাইন এই থাকে ঘুমায় তাহদের সবকিছুই সেই রেললাইন কে কেন্দ্র করে। ইস্টিশন বইটিতে বেশকিছু শিশুর কথা আছে। সকলেই ট্রেন থামলে সেটায় দৌড়াদৌড়ি করে উটগে। তাদের মধ্য ট্রেন থামার আগেই সবাই লাফিয়ে সেটাতে ওঠার চেষ্টা করে। জালাল সবার আগেই লাফ দিয়ে ট্রেনে উঠে যায়। জেবা, মজিদ, শাহজাহানও লাফিয়ে একেকজন একেকটা বগিতে ওঠে পড়ে। এর মধ্যে যারা ছোট, তারা চলন্ত ট্রেনে উঠে পারে না, এরা ট্রেন থামার সাথে সাথে উঠে পরে। ট্রেনে উঠে জালাল প্যাসেঞ্জারদদের দিকে ভালো করে লক্ষ করে একজনের দিকে গিয়ে তার ব্যাগ নামিয়ে দিতে চায় বেশ দুঃখী দুঃখী মুখ করে। কিন্তু সব জায়গায় সুবিধা করতে পারে না, তাকে অনেকের গালাগালও খেতে হয়। ভাগ্য ভালো থাকলে মাঝে মাঝে কয়েকটা প্যাসেঞ্জার জুটলেও জুটতে পারে। মাঝে মাঝে সে পানির খালি বোতল খুঁজে খুঁজে জমিয়ে তা নানা জায়গায় বিক্রি করে। জালাল বোতলগুলো শহরে বিক্রি করে। এদের পরিবার, আপনজন বলতে তেমন কেউ নেই। এখানে নিজেরাই যেন একটি পরিবার হয়ে গেছে। তারা বেঁচে থাকার জন্যে বিভিন্নরকম অন্যায় করে, চুরি-চামারি করে, নিজেদের ভিতরে ঝগড়াঝাটি করে কিন্তু দিনশেষে আবার একজন আরেকজনের ভালো-মন্দের খোঁজখবর নেয়, একই পরিবারের সদস্যদের মত একসাথে ঘুমায়। এর মাঝে একদিন তাদের স্টেশনে ইভা নামের একটা আপা আসে। তারা ইভার কাছে গিয়ে টাকা চায়। তখন ইভা কোন গালাগালি না করেই দুই টাকা সবাইকে দিতে থাকে। এতে স্টেশনের ছেলে-মেয়েরা খুব অবাক হয়ে যায়। তারা ইভার নাম দেয় ‘দুই টেকি’ আপা। ইভাকে চাকরির কারণে প্রতি বৃহস্পতিবারই স্টেশনে আসতে হত। আর তারা এভাবে প্রতি সপ্তাহেই টাকা নিতে থাকে। আস্তে আস্তে ইভার সাথে ছেলে-মেয়েগুলোর একটা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে উঠে। তবে স্টেশনে যারা থাকে তাদের সবসময়ই বিভিন্ন ঝুঁকির মধ্যে থাকতে হয়। এর মাঝে একদিন দেখা যায় সবুজ নামের এক ছেলে, যে আগে জালালদের সাথে স্টেশনে থাকতো সে হেরোইন ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ে খুন হয়ে যায়। আর সবুজের মৃত্যুর পরে জালাল সবুজের লুকিয়ে রাখা কয়েক লক্ষ টাকার হেরোইন পেয়ে যায়। এভাবে আরও অনেক ঘটনার মধ্যে দিয়ে কাহিনী এগোতে থাকে। অনেক রোমাঞ্চকর কাহিনীই আমরা দেখতে পাই।হেরোইন ব্যাবসা, কাহিনীর এক পর্যায়ে মেয়ে ধরার কবলে পড়া এবং আমাকে সবথেকে বেশি মুগ্ধ করে এই ছোট ছোট শিশুগুলো যতই কিছু করুক এদের মধ্যে নীতিবোধ রয়েছে এরা নিজের জীবন বাজি রেখে আরেকজনের সাহায্য করে। এভাবেই সমস্ত গল্পটা আবর্তিত হয় একটি ট্রেন ইস্টেশনকে কেন্দ্র করে। বইয়ের শেষে লেখক ‘শেষ কথা’ অংশে লিখেছেন একসময় তাঁকে ব্যক্তিগত কারণে খুব ঘন ঘন ট্রেনে যাতায়াত করতে হত। তখন তিনি খুব কাছে থেকে এই স্টেশনের বাচ্চাগুলোকে লক্ষ্য করেছেন। সেই দেখা থেকেই এই ‘ইস্টিশন’ উপন্যাসটি লেখা। হয়ত তার মধ্যেও অপরাধবোধ কাজ করেছিলো আমাদের সমাজে এরকম অনেক শ্রেনীর বঞ্চিত শিশু রয়েছে যাদের কাছ থেকে আমরা নিজেরাই তাদের শৈশব ছিনিয়ে নিচ্ছি। বইটি পড়ে না থাকলে শীঘ্রই পড়ে ফেলুন।
Childrens-Book
2
চমৎকার একটি বই রিরি। মোশতাক আহমেদের লেখা অন্যতম বই এটি। গল্পটি মূলত গোয়েন্দা কাহিনী নিয়ে রচিত, আর গোয়েন্দাগিরির সাথে যদি বৈজ্ঞানিক কল্পনা যোগ হয় তাহলে তো কথাই নেই। রহস্যের সাথে রয়েছে আতঙ্ক তারও সাথে আছে বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনি, যা বইটিকে অন্য একটি রুপ দিয়েছে। মোট কথা বইটি অসাধারণ, আমি নিশ্চিত বইটি কিনে কেউ হতাশ হবে না।
Science-Fiction
4
এই উপন্যাস এক দুঃসাহসিক ও অভিনব বিষয়বস্তু নিয়ে। অসম পরিবারে বেড়েওটা চার বন্ধু দেশের রাজনৈতিক দলগুলার বিরুদ্ধে রুখে দাঁরায়। এক সময় আত্নগপন করার জন্য তারা হিমালয়ের এক পাহাড়ি যায়,যেখানে আজও সভ্যতা আসেনি।সেখানেই শুরু হয় তাদের আত্নত্যাগ ও সাধনা। তাদের মধ্যে এক জন মেয়ে 'জয়ী' যার স্বপ্ন,সংগ্রাম। এক বন্ধু কল্যাণ কে বিদায় দেয়া,সুদীপের মাতলামো, আনন্দের নিশুপ থাকা সব মিলিয়ে অসাধারণ একটি উপন্যাস। তবে জয়ীর ঐ ব্যাপার টা আমি কোনো ভাবেই মেনে নিতে পাড়ছি না।গত রাতের ভুমিকম্প আমাকে যত টা না ধাক্কা দিছে তার থেকে ও বেশি ধাক্কা দিছে এই ব্যাপার টা। যারা পড়ছেন তারাতো বুঝতেই পাড়ছেন কোন ব্যাপার টার কথা বলছি। আর যারা পড়েননি তারা পরেনিয়েন। আশা করি ভালই লাগবে।
Fiction
0
রিটিন বইয়ের গল্প এক অদ্ভূত পৃথিবীকে নিয়ে। যে পৃথিবীর নিয়মকানুনের সাথে আমাদের পৃথিবীর মিল নেই। সেই পৃথিবীর সকল মানুষকে দুই ক্যাটাগরিতে বিভক্ত করা হয়। ক্যাটাগরি-এ এবং ক্যাটাগরি-সি। ক্যাটাগরি-এ তে যারা তাদের অনেক ক্ষমতা। তারা নিয়ন্ত্রণ করে সমস্ত মানুষদের। তাদের আছে পড়াশোনা করার ক্ষমতা, বিভিন্ন ধরনের আবিষ্কারের ক্ষমতা। এক কথায় বলা যায়, তাদের কেউ আটকাতে পারে না কোনভাবেই। আর ক্যাটাগরি-সি তে যারা তাদের কাজ একটাই। সারাজীবন শ্রমিকের মতো কাজ করে জীবনযাপন করা। তাদের পড়াশোনার ক্ষমতা নেই, কোন ক্ষমতাই তাদের নেই। ইচ্ছা থাকা স্বত্তেও তারা কিছু করতে পারে না। মানুষের মাঝে এই বিভেদ দূর করতে আপ্রাণ চেষ্টায় নিয়োজিত এই ক্যাটাগরি-সি এর মানুষেরা। রিটিন এই গল্পের নায়ক। ভাগ্যক্রমে সে নিজেও এই সি- ক্যাটাগরিরই একজন মানুষ। বাবা, মা নেই। বাবা-মা মারা যাওয়ার পর এক অনাথ আশ্রমে সে বড় হয়েছে। একজন সি-ক্যাটাগরির মানুষ হওয়ার অপরাধে তাকে কোন পরিবার পালকপুত্র হিসেবে নেয় নি। রিটিনের খুব ইচ্ছা পড়ালেখা করার, গবেষণা করার। কিন্তু রিটিন চাইলেই তো আর পারবে না। কারণ গত একশ বছর থেকে মানুষকে জেনেটিক উপায়ে ডিজাইন করতে হয়। আর রিটিনকে সেভাবে ডিজাইন করা হয় নি। তাই সে পড়াশোনা করতে পারবে না, কোন ধরনের গবেষণামূলক কাজে অংশ নিতে পারবে না। এ নিয়ে মাঝেমাঝে বাবা-মায়ের উপর খুব রাগ হয় রিটিনের। কেন তাকে ওরকমভাবে ডিজাইন করলো না! রিটিন এই বিভেদ মানতে চায় না। ঘটনাক্রমে শহরের সবচেয়ে বড় অপরাধজগৎ "ক্রিমিজম" এ প্রবেশ হয় রিটিনের। এখানকার মানুষরাও রিটিনের মতো। তারাও এই বিভেদ মানে না। পরিচয় হয় এই গ্রুপের লিডার ক্লিওনের সাথে। ক্লিওনের নেতৃত্বেই রিটিনকে পাঠানো হয় এক অভিযানে। সেই অভিযানের সূত্র ধরেই এগিয়ে যেতে থাকে বইয়ের কাহিনী।
Science-Fiction
4
যেকোন বই পড়ার শুরুতে ভূমিকা আর শেষের লেখক পরিচিতি পড়া আমার অভ্যাস। ভুমিকা পড়তে গিয়েই মনে হয়েছে অমূল্য এক রত্নের সন্ধান পেলাম। তখনি চিন্তা করলাম বইটি আমকে এবং আমার মেয়েকে পড়তেই হবে। একটা পাথর, সে কিভাবে এমন গোলাকার, মসৃন আর উজ্জ্বল হলো? চোখ-কান খোলা থাকলে এমন প্রশ্নে উত্তর পাথর নিজেই তোমাকে বলবে – জওহর লাল নেহেরু চিঠিতে তার মেয়েকে লিখেছেন এমন কথা যা পড়ে আমি রীতিমত চমকে উঠেছিলাম। পাথর কিভাবে নিজের সৃষ্টির ইতিহাস বলতে পারে!?! উত্তর জানার জন্য অধীর আগ্রহ নিয়ে পড়তে থাকলাম। তিনি বলেছেন- ‘প্রকৃতি একটি বিশাল মহাগ্রন্থ, পাথর সেই মহাগ্রন্থের এক একটি পৃষ্ঠা, প্রকৃতির মহাগ্রন্থ পড়তে হলে তোমাকে পাথর আর পাহারের গায়ে লেখা বর্ণ বা অক্ষর জানতে হবে’ ‘মেয়ের কাছে বাবার চিঠি’ পণ্ডিত জওহরলাল নেহরুর তার মেয়ের কাছে লেখা চিঠির সমাহার। ইন্দিরা গান্ধীর বয়স যখন আট/নয় বছর তখন তার বাবা চিঠিগুলো তাকে লিখেছিলেন। সুতরাং তার বয়সী শিশু থেকে শুরু করে যেকারো জন্যই এটি একটি অসাধারণ বই। মা-বাবা এবং বড়দের জন্য এটি অবশ্যই পাঠ্য একটি বই। বইটি থেকে অভিভাবকদের অনেক কিছুই শিখবার আছে। মা-বাবার সন্তানদের সাথে কেমন আচরণ করা উচিত বা মা-বাবার সাথে সন্তানদের সম্পর্ক কেমন হওয়া উচিত -সে বিষয়ে বইয়ের প্রতিটি চিঠি থেকে আমরা শিক্ষা নিতে পারি। আমরা সাধারণ মানুষ এখন এতটাই ব্যস্ত যে কাছে থেকেও বাচ্চাদের সাথে গল্প করার সময় পাইনা। পন্ডিত জওহর লাল নেহেরু যখন মেয়ের কাছ থেকে দূরে ছিলেন তখনও তার মেয়েকে সময় দিয়েছেন। চিঠির মাধ্যমে মেয়ের চিন্তা ও চেতনাবোধকে জাগ্রত করেছেন। কত সহজে সন্তানকে নতুন জগতের সন্ধান দিয়েছেন। বাবার চিঠি পড়ে ইন্দিরা গান্ধী ঘন্টার পর ঘন্টা পার করেছেন পাথর, উদ্ভিদ, জীব-জন্তু, পোকামাকড়ের জীবনবৈচিত্র্য আর আকাশের তারা দেখে। অনুবাদ করার পর অনেক সময় বইয়ের আসল সৌন্দর্য্য হারিয়ে যায়। এখানে অনুবাদক বদিউর রহমান ভালো কাজ করেছেন। চিঠিগুলোর সৌন্দর্য্য ও আন্তরিকতা আমাকে মুগ্ধ করেছে। বইটির পেইজসংখ্যা আরো বেশী হলে আনন্দ পেতাম।
Childrens-Book
2
বিভূতিভূষণ মুখোপাধ্যায় হাস্যরসের ছোট গল্পের পশরা নিয়ে ১৯৩০ এর দশকে সাহিত্যে আবির্ভূত হয়েছিলেন। নীলাঙ্গুরীয় বিভূতিভূষণ মুখোপাধ্যায় এর প্রথম উপন্যাস । এর রচনা প্রনালী কিন্তু সম্পূর্ণ ভিন্ন। উপন্যাসটির উপজীব্য প্রেম।কিন্তু উপন্যাসের প্রথমেই নায়কের জবানিতে লেখক প্রশ্ন উত্থাপ্ন করেন...ভালোবাসা কি সবসময় এই তাহার চিরন্তন রুপিহ্বলই দেখা দিবে...সেই আবেগ বিহ্বল কিনবা অশ্রুসজল। ঘৃণা কি সব সময়েই ঘৃণা ।তারপর কথক জানিয়ে দেন ... ভালোবাসায় গরল থাকতে পারে। অন্তত আমার বেলায় তো ছিল। উপ্ন্যাস্টি একটি গরল অমৃত এর কাহিনী।বস্তুত অন্যত্র ও বিভূতিভূষণ মুখোপাধ্যায় প্রেমকে দেখেছেন একটি জটিল বৃত্ত রুপে। তার সঙ্গে ঈর্ষা , বিদ্বেষ, ঘৃণা, পীড়নস্পৃহা সবই জড়িয়ে থাকতে পারে প্রায় সকল বিষয়ে উদাসীন ব্যারিস্টার রায়ের কন্যা তরুর গৃহশিক্ষক রুপে এই অভিজাত পরিবারে শৈলেন এর আশ্রয়লাভ ঘটে। তরুর দিদি মীরার ত্তবাবঢানের মধ্যে প্রভু ভৃত্যের সম্পর্ক আভাসিত হলে শৈলেনের মন বিদ্রোহ করে। কিন্তু অচিরেই সে মীরার রহস্যপরায়ণ আচরণের মধ্যে প্রেমের দ্যোতনা উপলব্ধি করে এবং মীরার প্রতি নিজের আকর্ষণ ও সবিস্ম্যে আবিস্কার করে। দুজনের সামাজিক অসমকক্ষতা সম্পর্কে দুজনেই সচেতন ।তার উপ্রে মীরার প্রকৃতির মধ্যে আছে আভিজাত্যের অভিমান আর শৈলেনের চারপাশে রয়েছে নিজের অবস্থাবোগুন্যজনিত আত্ম্রক্ষা প্রবৃত্তির স্বরচিত দেওয়াল। ফলে আবেগ ও উচ্ছ্বাসের জায়গা প্রায়ই নিয়েনেয় দ্বন্দ্ব ও সংঘাত ।নায়ক নায়িকার অসাধারণ সংযম ও আত্মদমন উভয়ের মধ্যে চির বিচ্ছেদ ঘটিয়ে উপ্ন্যাস্কে সম্পূর্ণ ভিন্নরুপ দান করে।মীরার সঙ্গে তার সম্পর্ককে শৈলেন বারংবার ঘৃণায় মেশানো ভালোবাসা ব্লে উল্লেখ করেছে। তা নীলকান্তমণির মতোই নীল তার মতোই খাটি। সে এই গরল অমৃত পান করেছে, জন্ম জন্মান্তর ধরে তাই পান করার কাম্নাই ব্যাক্ত করেছে। মীরার সঙ্গে মিলনের আকাঙ্খা প্রকাশ করেনি।
Fiction
0
মুক্তিযুদ্ধ, আমাদের পরম গর্বের ধন। স্বাধীনতার ছেচল্লিশ বছর পর, একাত্তর সম্পর্কে আজকের প্রজন্মের বেশির ভাগের জানাশোনা নিতান্তই অপ্রতুল। আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের ক্যানভাস সুবিশাল, সুবিশাল তার ইতিহাস। ব্রিটিশ আমল থেকে শুরু তারপর পাকিস্তান আমল। ৫২, ৫৪, ৫৮, ৬২, ৬৬, ৬৯, ৭১, ৭৫ সংখ্যাগুলো শুধুই সংখ্যা নয়।আমাদের জাতীয় ইতিহাস এবং জাতীয় ঐক্যের প্রতীক। ছোট্ট পরিসরের বইটিতে স্বভাবসুলভ দক্ষতায় লেখক ফুটিয়ে তুলেছেন উল্লিখিত সংখ্যাগুলোর ইতিহাস। আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের সুবিস্তৃত ইতিহাস কোন একক পরিসরে্র বইয়ে তুলে ধরা সম্ভব নয়।কিন্তু জাফর স্যার স্বল্প পরিসরে মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে বইটির পাঠকের মনে কৌতুহল জাগাতে চেয়েছেন।এবং তিনি এতে সফল।
War
5
বর্তমান সরকারের অন্যতম প্রধান নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ছিল ৭১ এর যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের সম্মুখীন করা।নির্বাচিত হয়ে আওয়ামীলীগ সরকার সেই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করে।দীর্ঘ তদন্তের পর জমা দেয়া হয় চার্জশিট।শুরু হয় আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের অধীনে বিচারকর্ম।অকাট্য তথ্যপ্রমাণ ও চাক্ষুষ সাক্ষীদের জবানবন্দীর ভিত্তিতে দেয়া হয় রায়।মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করা হয় এই কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধীকে। রায়ের বিপক্ষে সর্বোচ্চ আদালতে করা হয় আপীল আবেদন, আপীলের রায়ের বিপক্ষে রিভিউ। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি তাঁর। এতো বেশী সাক্ষ্যপ্রমাণ উপস্থিত করে প্রসিকিউশান যে বেনিফিট অফ ডাউটের বিন্দুমাত্র সুযোগ ছিলোনা তাতে। এদেশের আইনের ইতিহাসে একটি মাইলফলক হয়ে রইবে সাকা চৌধুরীর এই রায়টি। খণ্ড খণ্ড বিক্ষিপ্তভাবে এই রায়ের বিভিন্ন অংশ বিভিন্ন সময়ে পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হলেও পূর্ণাঙ্গ রায়টি প্রকাশের পরে এর সম্পূর্ণ বঙ্গানুবাদ করার দুরূহ কাজটিতে হাত দেন কয়েকজন মেধাবী কলমযোদ্ধা।নিপুণভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন সাক্ষীদের জবানবন্দী , ক্রস এন্ড কাউন্টার এক্সামিনেশান, আদালতের অবসারভেশন ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ অংশসমূহ। সম্পূর্ণ অনুবাদ কর্মটিতে সর্বমোট ১০ জন অংশ নেন। এদের মধ্যে ২ জন ছিলেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক। বাকিরা হলেন আরিফ রহমান, আহমেদ রনি, সাব্বির হোসাইন, সুমিত রায়, সুবর্ণা সেঁজুতি, দেব প্রসাদ দেবু, কেশব কুমার অধিকারী এবং ফরিদ আহমেদ। সম্পাদনার কাজে যুক্ত ছিলেন সাব্বির হোসাইন, দেব প্রসাদ দেবু, শারমিন আহমেদ, ইরতিশাদ আহমদ ও ফরিদ আহমেদ। উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেছেন ইরতিশাদ আহমদ এবং প্রধান সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন মুক্তমনা বাংলা ব্লগের মডারেটর ফরিদ আহমেদ।
Political
3
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা নভেম্বর রিভিউ: ০৩ বইঃ পিপলী বেগম লেখকঃ হুমায়ূন আহমেদ প্রকাশনীঃ অবসর প্রকাশনা সংস্থা বইয়ের ধরনঃ শিশুতোষ প্রচ্ছদঃ ধ্রুব এষ পৃষ্ঠাঃ ৫৫ রকমারি মুল্যঃ ৯১টাকা মতিন সাহেব পেশায় ডাক্টার। তাঁর তিন মেয়ে তিলু, বিলু, নিলু। তিলু এবং বিলু ভিকারুন্নেসায় ক্লাস সেভেনে ও থ্রিতে পড়ে। তার ছোটটা বিলু, সে একই স্কুলে থ্রি তে পড়ে। সবার ছোটটা এখনও কোথাও ভর্তি হয়নি। মতিন সাহেব কাজের চাপে বাচ্চাদের সময় দিতে পারেন না। খুব সকালে বেড়িয়ে যান এবং অনেক রাতে বাড়ি ফেরেন। যখন বেরিয়ে যান তখন বাচ্চারা ঘুম থেকেই উঠে না। আবার যখন বাড়ি ফিরেন এসে দেখেন ওরা ঘমিয়ে পরেছেন। এক পপর্যায়ে দেখা যায় বাচ্চারা তাকে ভুলতে বসেছে তখন তিনি দুদিনের ছুটি নিলেন। দ্বিতীয় দিন তাঁর স্ত্রী ভাইয়ের বাসার গিয়ে প্রচন্ড বৃষ্টিতে আটকা পরেন। রাতে ফিরবেন না। তিন নেয়ে বাবার কাছে বায়না ধরল গল্প শোনানোর জন্য। বাঘের গল্প। মুশকিল হল বাঘের কোনও গল্প তাঁর এই মুহূর্তে মনে পড়ছেনা। তাই তিনি পিপলী বেগমেরর গল্প শুরু করলেন। নাম শুনে মনে হয় একজন মহিলা কিন্তু বাস্তব অর্থে পিপলী বেগম হলো একটি কিশোরী পিঁপড়া। পিপলীরা কয়েকটি সম্প্রদায়ে বিভক্ত। তাঁর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে কালো পিঁপড়া, পাহাড়াদার পিঁপড়া, সৈনিক পিঁপড়া। পিপলী বেগম স্কুলে পড়ে। মানুষের মত তাদেরও স্কুল কলেজ আছে। হাসপাতাল আছে। বাড়িঘর আছে।একরুমের একটা ফ্ল্যাটে পিপলী বেগমের পরিবার থাকে। পিপলীর বাবা খাবার সংগ্রহ করতে গিয়ে কালো পিঁপড়াদের হাতে বন্দি হয়েছে। রানী অবশ্য বলেছে তাঁর বাবাসহ সকল বন্ধী পিঁপড়াদের উদ্ধার করবেন। কালো পিঁপড়াদের সাথে যুদ্ধও হয়েছে। তাতে পিপলীরাই বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। রানীমা কি পারবে সবাইকে বাঁচাতে? নাকি পারবে না? তাহলে কি করবেন পিঁপলী বেগম? কি করে তাঁর বাবাকে উদ্ধার করবেন তিনি? #পাঠ_প্রতিক্রিয়া:- পিপলী বেগম ছোটদের বই। যারা ছোট থেকেই সন্তানদের বই পড়াতে চান তারা দ্রুত অর্ডার করুন। আবার যারা আসার মতো ভাগনী-ভাগিনাদের বই পড়ে শোনান তারাও দেরি করবেন না। ছোটদের বই পড়ার সময় মনে করি আমিও ছোট তাছাড়া বইয়ের মজাটাই পাবো না। এবারও তার ব্যাতিক্রম হয়নি। হুমায়ূন স্যার যেমন বড়দের জন্য তার অসাধারন সব সৃষ্টি রেখে গেছেন তেমন ছোটদের জন্যও রেখে গেছের তার আদর্শ প্রমান হলো এই বইটি।
Childrens-Book
2
কাহিনী সংক্ষেপঃ লিলিয়ান এবং তাহের। দুই ভিন্ন দেশি মানুষ। তাহের লেখাপড়া করছে আমেরিকায়। লিলিয়ানের সাথে তাহেরের পরিচয় ইয়েলো স্টোন পার্কে। বেশ মজার এক পরিচয়পর্ব দিয়ে শুরু হয় তাদের পরিচয়। অল্প দিনের পরিচয়েই তারা সিদ্ধান্ত নেয় বিয়ে করবার। দিন যত পার হয়েছে তাহেরের প্রতি লিলিয়ানার ভালোবাসা তত বৃদ্ধি পেয়েছে। বিদেশি বলে কখনো তাহেরের সাথে তার কোন কিছু নিয়েই মনমালিন্য হয় নি বরং তাহের তার সমস্ত কথাকে গুরুত্ব দিয়েছে। এমনি এক আবদার ছিল লিলিয়ানার। সে বাংলাদেশ দেখতে চায়। তাহেরর পৈত্রিক ভিটায় যেতে চায়। তাহের প্রথমে কথাটার খুব একটা গুরুত্ব না দিলেও পরে সে লিলিয়ানাকে নিয়ে বাংলাদেশে যায়। তাহেরের বাড়িতে গিয়ে লিলিয়ানা জানতে পারে আয়নাঘর সম্পর্কে। সেই ঘরে সাজতেন তাহেরের দাদার বাবার বউ যিনি দেখতে ছিলেন ভীষণ রূপসী। তিনি মারা যান এই ঘরেই। তাহেরের মাও এই ঘরে অনেক সময় কাটাতেন। কালক্রমে লিলিয়ানারও এই ঘরের প্রতি মায়া বাড়তে থাকে। কিন্তু হটাত করেই সে আর তাহের পরে যায় গ্রামবাসীর এক বিশাল কুচক্রে। লিলিয়ানার সামনে ঘনিয়ে আসতে থাকে বিপদ। কীভাবে উদ্ধার পাবে লিলিয়ানা? কে বাঁচাবে তাকে? লিলিয়ানার কি হয়েছিল শেষ পর্যন্ত জানতে হলে পড়তে হবে হুমায়ূন আহমেদের ‘আয়নাঘর’। পাঠ প্রতিক্রিয়াঃ হুমায়ূন আহমেদের লেখা নিয়ে বলার কোন সাহস আমার নেই। তাঁর প্রতিটি লেখাই জনসমাদৃত। দেশের বাইরের কোন একটা চরিত্রকে যে এত সহজে আপন ভাবা যায় তা হুমায়ূন আহমেদ ছাড়া আর কারও লেখাতেই সেভাবে ফুটে ওঠে না।লিলিয়ানার প্রতিটা কথার ভঙ্গি, তাহেরের প্রতি তার ভালোবাসা বারবার তাকে আপন করে দিচ্ছিল। খুব সহজেই সে হয়ে উঠেছে আমাদেরই একজন। লেখকের অন্যান্য লেখার মতই ‘আয়নাঘর’ একটি অসাধারণ বই। পড়া হয়ে না থাকলে আজই পড়ে ফেলুন।
Thriller
1
সুন্দর একটি দিন, নীল আকাশ, চারপাশটা যেন বড় বেশি সুন্দর।যাই চোখে পরছে তাই ভালো লাগছে। এমন এক দিনে, অনেক দিন পর দেখা হয় মারিয়ার সাথে হিমুর। প্রথমে হিমু তাকে চিনতে পারে না, কিন্তু সত্যই কি চিনতে পারে না? নাকি হিমু মারিয়াকে চিনতে চায়নি? দেশে হরতাল, অসহযোগ চলছে। হিমু এসেছিল জিপিওতে আসগর সাহেব এর সাথে দেখা করতে। তার সাথে দেখা করে চা খেয়ে জিপিওর বাইরে এসেই পুলিশের হাতে ধরা খায়। আজ হিমুর কাছে সবই অনেক সুন্দর লাগছে, এমন কি পুলিশের হাতে ধরা খেয়ে নতুন পরিস্থিতে চারিদিকের সৌন্দর্য তার কাছে একটুও কমেনি। চারদিক এখনো হিমুর কাছে অপূর্ব লাগছে। সারা দিন হিমুকে থানায় বসিয়ে রাখা হয়। রাতে ওসি নানা প্রশ্ন করে, থানার রেকর্ড অফিসার এর কাছে হিমু সম্পর্কে জানতে পেরে ওসি হিমুকে ছেড়ে দেন। এবং হিমুকে ওসির পছন্দ হয়। রাত দুইটা বাজে এই সময় বাইরে কোন গাড়ি পাবে না তাই ওসি পুলিশের জীপ দিয়ে হিমুকে তার গন্তব্যে পৌছে দেন। পাঁচ বছর পর মারিয়ার সাথে আবার হিমুর দেখা হয়। মারিয়াকে নিয়ে হিমু ভাবতে চায় না কিন্তু হিমুর ভাবনার জগতে মারিয়া আবার চলে আসে। পাঁচ বছর আগে মারিয়া একটা ইন্টারেস্টিং চিঠি লিখেছিল। সাংকেতিক ভাষায় চিঠি। এই সাংকেতিক চিঠির পাঠোদ্ধার করে দেয় হিমুর ফুপাতো ভাই বাদল। কিন্তু হিমু সে চিঠির উত্তর দেয় না, মারিয়ার সাথে আর যোগাযোগও হয় না। বহু দিন পর আবার যোগাযোগ হল হঠাৎ দেখায়।
Fiction
0
'দ্য মঙ্ক হু সোল্ড হিজ ফেরারি' বইয়ের সূচিপত্র অধ্যায় ১: জাগরনী..........৯ অধ্যায় ২: এক রহস্যময় সাক্ষাপ্রার্থী..........১৬ অধ্যায় ৩ : জুলিয়ন ম্যান্টেলের হঠাৎ অত্যাশ্চার্য পরিবর্তন..........২০ অধ্যায় ৪ : সিভানার সন্ন্যাসীদের সঙ্গে জুলিয়নের সাক্ষাৎ..........৩২ অধ্যায় ৫ : সন্ন্যাসীদের কাছ থেকে আধ্যাত্মবাদের শিক্ষা লাভ..........৩৫ অধ্যায় ৬ : নিজেকে ভেঙে একেবারে বদলে ফেলার জ্ঞান..........৪০ অধ্যায় ৭: এক অত্যাশ্চর্য সুন্দর উদ্দ্যান..........৪৮ অধ্যায় ৮ : জ্বালাে আপন প্রাণের আলাে..........৭২ অধ্যায় ৯ : আত্মপরিচালনার প্রাচীন কৌশল..........৮৬ অধ্যায় ১০ : সুশিক্ষা আর সুশৃঙ্খলতার শক্তি..........১২২ অধ্যায় ১১ : জীবনের এক অত্যধিক মূল্যবান বস্তু..........১৩২ অধ্যায় ১২ : জীবনের অতি চরম উদ্দেশ্যে..........১৪২ অধ্যায় ১৩ : চিরন্তন আনন্দের ও সুখের কালােত্তীর্ণ নীতিসমূহ..........১৪৭ জ্ঞানালােকদীপ্ত জীবনধারণের সাতটি কালাতীত গুণাবলি..........১৫৭ রবিন এস শর্মার ব্যক্তিগত শিক্ষণ পরিষেবা..........১৫৭ ‘দ্য মঙ্ক হু সােল্ড হিজ ফেরারী' প্রশংসাজ্ঞাপক ম্যাসেজ..........১৫৯ বিশ্বসেরা আত্মউন্নয়নমূলক বইয়ের তালিকা..........১৬০
Motivational
6
মানুষ নিজেই নিজের কাছে সবচেয়ে বড় বিস্ময়! নিজেকে চিনতে কেটে যায় এক জনম। সৃষ্টিকর্তা মানুষের মস্তিষ্কে যে উচ্চক্ষমতা দিয়েছেন তার যথার্থ ব্যবহার না জানার কারণে আমরা সবাই সফল হতে পারি না। সাফল্যের জন্য আগে প্রয়ােজন মানুষের লুক্কায়িত শক্তির স্ফুরণ আর যথাযথ অনুশীলন ও প্রয়ােগ। প্রজন্ম-প্রেরণা ও দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করতে পারলে স্বপ্নের সমৃদ্ধ দেশ গড়া সম্ভব। তবে এজন্য দরকার তারুণ্যের জাগরণ। কারণ এদেশের বিপুলসংখ্যক তরুণদের কাজে লাগাতে পারলে নিশ্চয়ই সাফল্য আসবে বলে আমার বিশ্বাস। তবে সেজন্য তরুণদের দিতে হবে গুণ মানের শিক্ষা ও নয়া নেতৃত্বের প্রশিক্ষণ। মনে রাখতে হবে তরুণ মুক্তিযােদ্ধারাই অকাতরে রক্ত ঝরিয়ে অর্জন করেছে আমাদের প্রিয় স্বাধীন বাংলাদেশ। ভালােভাবে খেয়ে পরে উন্নত এক বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নে বিভাের হয়েই তারা একাত্তরে আত্মদানের প্রতিযােগিতায় নেমে পড়েছিল। নানান। চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও বাংলাদেশ উন্নয়ন অভিযাত্রায় অনেকটা পথ এগিয়ে গেছে। এর পেছনেও তারুণ্যের অবদান অনস্বীকার্য। প্রযুক্তিনির্ভর আগামীর বাংলাদেশেও তরুণরাই মুখ্য ভূমিকা পালন করবে। তাই তাদের দেশেপ্রেম ও ভরসা গেথে। দেবার প্রয়ােজন রয়েছে। আর তা করা গেলে নিশ্চয়ই তারা আত্মনির্ভর উদ্যমশীল এক জাতি গঠনে অসামান্য অবদান রাখতে সক্ষম হবে। তরুণ প্রতিশ্রুতিশীল লেখক নাজমুল হুদার ‘এক্স-ফ্যাক্টর নিজেকে জানার অজানা। সূত্র প্রকাশনার উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয় ও সময়ােপযােগী। আশা করি বইটি পড়ে সব বয়সের পাঠকরা আত্মশক্তিতে বলীয়ান হয়ে নতুনভাবে এগিয়ে যাবে আগামীর পথে।
Motivational
6
“স’তে সেন্টু” মুহম্মদ জাফর ইকবাল স্যারের একটি কিশোর উপন্যাস।ক্লাসের কিছু বন্ধুদের নিয়ে শুরু হওয়া একটি বই।ক্লাসে নতুন একছাত্র আসবে ক্লাসের সবাই জেনে গেছে।১২-১৭ বছরের কিশোরদের জন্যই হয়তো তিনি বইটি লিখেছেন।ক্লাসে সবার মধ্যে সাচ্চু একজন।সে বই পড়তে চায় না।তার বন্ধুরা তাকে দিয়ে বই পড়ানোর চেষ্টা করেও তারা পারেনি।সাচ্চুকে জিজ্ঞাসা করা হল কি রে বইটি পড়েছিস।সাচ্চু বলল পড়েছি কিন্তু বুঝি নাই।সে নাকি বইয়ের শেষ শব্দগুলো পড়েছে।এটা শুনে তার বন্ধু তো সেই রাগ এবং রাগারাগি পর্যন্ত চলে গেল।সাচ্চুর কথা হল সে বই না পড়লে কি হবে বা সে যদি উল্টো দিক থেকে বই পড়ে তাহলে কি সমস্যা?সে যদি বইয়ের শেষ থেকে পড়ে তা হলে কি হবে?সবাই হয়তো সাচ্চুকে গাধা ভাববে কিন্তু সে সারা দুনিয়ার খবর রাখে।সাচ্চুর বন্ধুদের ভাষায় সে এক আজব ছেলে।টেবিলে বইয়ের ব্যাগটা রেখে ক্লাসের বাহিরে গেল সবাই।কিছু বন্ধু একসাথে হলেই তারা খেলবে।বন্ধুদের কথার মাঝে একটা বিষয় উঠে এলো। আর তা হল তাদের নাকি ভুল সময়ে জন্ম হয়েছে।সাচ্চুর ভাষায় যখন পড়াশুনার জন্ম হয় নি।যখন পড়াশুনা আবিস্কার হয়নি তখন তারা জন্ম নিলে তাদের পড়াশুনা করা লাগত না। এই ভাবেই শুরু হয়েছে “স’তে সেন্টু”।কিশোর বয়সের সব কথা ও চিন্তা সব কিছুই উঠে এসেছে এই উপন্যাসের মাধ্যমে।আশা করি হয়তো সবাই বইটি খুব পছন্দ করবে।
Childrens-Book
2
গত কয়ের বছর কিছু নাম করা সেলিব্রেটি কিছু বিখ্যাত বাংলাদেশি লেখকের বই বইমেলাতে গিয়ে কিনতাম, পড়া শেষ হবার পর মনটা তিতা হয়ে থাকতো, এইবার বই মেলাতে "সাদাত হোসাইন" নামের এক বাচ্চা ছেলের বই "আরশিনগর" কিনলাম।। গতকাল পড়া শেষ হল।।।বইটা পড়ার সময় মনে হচ্ছিল আমি বেশ কয়েক বছর আগে পড়া মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়, বা সমরেশ পড়ছি।।।প্রতিটা পরিচ্ছদ পড়া শেষ করছি আর মনে হচ্ছে প্রচন্ড তৃষ্ণা মিটছে।। বইটা পড়ার সময় মন আর বুকের মধ্যে বহুদিন পর পাওয়া সেকি এক অদ্ভুত আলোড়ন।। আমি ভেবে পাচ্ছিনা অতটুকু বাচ্চা ছেলে এমন মনস্তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ করলো কিভাবে? মজিবরের এমন করুন পরিনতি মেনে নিতে পারিনাই।।।আম্বরিকে নায়িকা মনে হয়েছে।।।একজন বৃদ্ধাকে কি সুন্দর ভাবে আমদের মাঝে তুলে এনেছে।।গল্পের শুরুতে মজিবরকে দিয়ে নিলুফার তুমি ডাক,সকালের মৃত্যু পরবর্তী মিলির আচরন, বাবার বুকের ওপর তার ছোট সেই হাত।সেই হাত ভরতি কি মায়া....নশ্বর জগতের অবিনশ্বর ভালবাসা...এমন অনেক অংশ চোখ ভিজিয়েছে।।।আসিফের সাথে দেখা হবার পর আরশির কিশোরী মনের মনোজাগতিক আলোড়ন ফিরে পেয়েছি কিশোরী নিজেকে।।।।এক কথায় অনেক অনেক ভাল লেগেছে বইটি পড়ে।।।।l
Fiction
0
হুমায়ূন আহমেদ শুধু বড়দের জন্যেই বই লিখে যান নি। ছোটদের জন্যও আছে তার কিছু মজার গল্প সংকলন। ছোট ছোট গল্প আর মজার সেসব গল্পের বইগুলোর মাঝে একটি হলো "নীল হাতি"। "নীল হাতি" এই বইতে আছে মোট তিনটি গল্প। ★ নীল হাতি ★ একটি মামদো ভূতের গল্প ★ আকাশপরী এই তিন গল্পের প্রধান চরিত্র নীলু নামের ছোট্ট একটি মেয়ে। প্রথম গল্প: নীলু নামের এই ছোট্ট মেয়েটিকে তার মামা আমেরিকা থেকে একটি নীল হাতি পাঠিয়েছে। সেই মামাকে নীলু কখনও দেখে নি। শুধু জানে তার এক মামা আছেন আমেরিকাতে। সেই মামা যখন নীল হাতি উপহার পাঠালেন নীলুর খুশি দেখে কে..! সারাক্ষণ নীল হাতির সাথে সময় কাটে নীলুর। সুনৃদর সময় কাটতে কাটতেই ঘটে গেলো এক অঘটন। অঘটনটা এই নীল হাতিকে নিয়েই। সেই গল্পই আছে "নীল হাতি"তে। দ্বিতীয় গল্প: প্রতিবার নীলুর জন্মদিনে বাবা-মা উপহার দেয় নীলুকে। রাতে ছাদে বসে জমিয়ে আড্ডা দেয়া হয়, চা খাওয়া হয় সবাই মিলে। কিন্তু এবার তা হলো না। মা অসুস্থ হয়ে পড়লেন। মাকে নিয়ে সবাই ব্যস্ত। এরই মাঝে ঘটলো এক মজার কাহিনী। নীলুর দেখা হলো মামদো ভূতের সাথে। তারপর..? বাকি গল্প না হয় বই থেকেই জেনে নিন। তৃতীয় গল্প: পরী বলে কি কিছু আছে? বাবা বলে নেই মাও বলে ওসব ফাকিঁবাজি। কিন্তু বাবার বন্ধু আজিজ চাচ্চু বলে আকাশপরী বলে আছে। পূর্ণিমার দিন তারা নাকি পৃথিবীতে আসে। যখন তারা পৃথিবীতে আসে তখন আশেপাশে অনেক ফুল ফুটে। সেই আজিজ চাচ্চুর কাছেই নীলু শুনলো সেই আকাশপরীদের নিয়ে দারুণ একটি গল্প....!
Childrens-Book
2
হিমু একজন বাউন্ডুলে ধরনের যুবক।বয়স ২৫-৩০ বছরের মধ্যে। তার পোশাক ও গেট-আপ কিছু কিছু মানুষের কাছে বিরক্তিকর । সে খুব একটা সুদর্শন না কিন্তু তার চোখ ও হাসি খুব সুন্দর হিমু চরিত্রের আসল নাম হিমালয়। এ নামটি রেখেছিলেন তার বাবা। যার বিশ্বাস ছিল ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার যদি প্রশিক্ষণ দিয়ে তৈরি করা যায় তবে একইভাবে মহাপুরুষও তৈরি করা সম্ভব। তার মহাপুরুষ তৈরির বিদ্যালয় ছিল যার একমাত্র ছাত্র ছিল তার সন্তান হিমু। উপন্যাসে প্রায়ই তার মধ্যে আধ্যাত্মিক ক্ষমতার প্রকাশ দেখা যায়। যদিও হিমু নিজে তার কোন আধ্যাত্মিক ক্ষমতার কথা স্বীকার করে না। হিমুর আচার-আচরণ বিভ্রান্তিকর। বিভিন্ন পরিস্থিতিতে তার প্রতিক্রিয়া অন্যদেরকে বিভ্রান্ত করে, এবং এই বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা হিমুর অত্যন্ত প্রিয় একটি কাজ।===”হিমুসমগ্র” বইয়ের গল্পসমূহ: ময়ূরাক্ষী /দরজার ওপাশে / হিমু /পারাপার/এবং হিমু ... /হিমুর হাতে কয়েকটি নীলপদ্ম /হিমুর দ্বিতীয় প্রহর/ হিমুর রূপারী রাত্রি /একজন হিমু কয়েকটি ঝিঝিপোকা/তোমাদের এই নগরে /চলে যায় বসন্তের দিন/ সে আসে ধীরে / আঙুল কাটা জগলু/হলুদ হিমু কালো রাব===হিমু বাংলাদেশী কথাসাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদ সৃষ্ট একটি জনপ্রিয় চরিত্র। হুমায়ূন আহমেদ বিংশ শতাব্দীর বাঙালি জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিকদের মধ্যে অন্যতম। তাঁকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরবর্তী শ্রেষ্ঠ লেখক গণ্য করা হয়। তিনি একাধারে ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার, নাট্যকার এবং গীতিকার। বলা হয় আধুনিক বাংলা কল্পবিজ্ঞান সাহিত্যের তিনি পথিকৃৎ। নাটক ও চলচ্চিত্র পরিচালক হিসাবেও তিনি সমাদৃত। তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা তিন শতাধিক। বাংলা কথাসাহিত্যে তিনি সংলাপপ্রধান নতুন শৈলীর জনক। তাঁর বেশ কিছু গ্রন্থ পৃথিবীর নানা ভাষায় অনূদিত হয়েছে, বেশ কিছু গ্রন্থ স্কুল-কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যসূচীর অন্তর্ভুক্ত। সত্তর দশকের শেষভাগে থেকে শুরু করে মৃত্যু অবধি তিনি ছিলেন বাংলা গল্প-উপন্যাসের অপ্রতিদ্বন্দ্বী কারিগর।
Fiction
0