Title
stringlengths
1
106
Time
stringlengths
28
73
Content
stringlengths
0
42.5k
Tags
stringlengths
0
210
দিল্লিতে জঙ্গি হামলার শঙ্কা, বিমানবন্দর ও বিমানঘাঁটিতে সতর্কতা
প্রকাশ: ০৪ অক্টোবর ২০১৯ | ০২:০৫ | আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০১৯ | ০৭:০৬
জঙ্গি হামলার শঙ্কায় ভারতের রাজধানী দিল্লিতে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। দিল্লির পাশাপাশি অমৃতসর, চণ্ডীগড়, হিন্ডন, পঠানকোটের মতো বিমানবন্দর ও বিমানঘাঁটিতে জারি করা হয়েছে সতর্কতা। এসব বিমানবন্দরে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোল টাওয়ারগুলিতে রাখা হয়েছে কমান্ডো ও স্নাইপারদের। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।সম্প্রতি ভারতের সেনাপ্রধান বিপিন রাওয়াত জানান, বালাকোটে ভারতীয় বিমানবাহিনীর হাতে ধ্বংস হওয়া জইশের ঘাঁটি ফের সক্রিয় হয়েছে। গোয়েন্দা সূত্রের দাবি, গত কয়েকদিনের মধ্যে দিল্লিতে ঢুকেছে চার জইশ জঙ্গি। তারা দুর্গাপূজা ও রামলীলার সময়ে বড় হামলা চালাতে পারে বলে মনে করছেন গোয়েন্দারা।  শুক্রবার সকালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনার জন্য বৈঠক বসে। এসময় উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রসচিব অজয়কুমার ভাল্লা ও ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর অধিকর্তা অরবিন্দ কুমার। সেন্ট্রাল দিল্লির ডিসিপি এমএস রনধাওয়া বলেন, আমরা সতর্ক রয়েছি। যে কোনো নাশকতা ঠেকাতে সব রকমভাবে তৈরি। আতঙ্কের কোনো কারণ নেই।বৃহস্পতিবার রাত থেকে দিল্লির ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাগুলিতে তল্লাশি শুরু হয়েছে। গোয়েন্দারা জানিয়েছে, রামলীলার ময়দানগুলিতে প্রচুর জনসমাগম হওয়ায় হামলা চালানো সহজ। জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা লোপের পর থেকেই জঙ্গি হামলার আশঙ্কা জোরদার হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের উপরে জঙ্গি হামলা হতে পারে বলেও জানিয়েছে গোয়েন্দারা। 
ভারত, জঙ্গি হামলা
চীনে স্মার্টফোন কারখানা গুটিয়ে নিচ্ছে স্যামসাং
প্রকাশ: ০৪ অক্টোবর ২০১৯ | ০২:১৮ | আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০১৯ | ০২:২৪
চীনের বাজারে স্মার্টফোন কোম্পানিগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে না পেরে নিজেদের ফোন উৎপাদনের কারখানাটি বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে স্যামসাং। এ মাসের শেষের দিকে কারখানাটি বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে স্যামসাং-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়।কারখানাটিতে কত ইউনিট ফোন উৎপাদন করা হতো এবং কতজন কর্মী কাজ করতেন সে বিষয়েও কোন তথ্য জানায়নি স্যামসাং। জুন মাসে হাংঝু শহরের কারখানাটির উৎপাদন ক্ষমতা কমানো হয়। এছাড়া ২০১৮ সালের শেষের দিকে কোম্পানিটি চীনে থাকা তাদের কারখানাগুলোর একটিতে উৎপাদন বন্ধ করে দেয়। গবেষণা প্রতিষ্ঠান কাউন্টার পয়েন্টের তথ্য অনুযায়ী- চীনে জনপ্রিয় স্মার্টফোন হচ্ছে শাওমি, ওয়ানপ্লাস ও হুয়াওয়ে। আর এসব স্মার্টফোনের কারণে চীনে পিছিয়ে পড়ছিলো স্যামসাং এর বিক্রি। ২০১৩ সালের প্রথম দিকে তাদের মার্কেট শেয়ার ছিলো ১৫ শতাংশ। যেখানে এ বছরের প্রথম দিকে তাদের মার্কেট শেয়ার নেমে আসে মাত্র ১ শতাংশে।স্যামসাং এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, চীনে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া মোটেও সহজ ছিলো না। ফোন তৈরিতে ব্যবহৃত যন্ত্রগুলো এখন বিশ্বের অন্য কোনো দেশে স্থানান্তরিত করা হবে। কোন দেশে কারখানাটি প্রতিষ্ঠা করা হবে তা নির্ভর করবে সেই দেশের বাজারে স্যামসাং ফোনের চাহিদার উপর।তবে ধারণা করা হচ্ছে, চাহিদা ও উৎপাদন খরচের উপর ভিত্তি করে ভারত বা ভিয়েতনামে কারাখানা স্থানান্তর করার পরিকল্পনা করছে স্যামসাং।
চীন, ফোন উৎপাদন, স্যামসাং
খোকসায় বিয়ের তিন দিনের মাথায় তরুণীর আত্মহত্যা
প্রকাশ: ০৪ অক্টোবর ২০১৯ | ০২:২৫
খোকসায় বিয়ের তিন দিনের মাথায় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন এক তরুণী। তার নাম পাপিয়া খাতুন। বৃহস্পতিবার রাতে বাবার বাড়িতে ওড়না দিয়ে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস নেন তিনি। পাপিয়া খোকসা সরকারি ডিগ্রি কলেজের অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী। ঘটনার পর থেকে তার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন আত্মগোপন করেছে।পাপিয়ার পরিবার সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার মির্জাপুরের রাজ্জাক বিশ্বাসের ছেলে ও খোকসা সরকারি ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থীর শামীম রেজার সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে প্রেম চলছিল পাপিয়ার। গত ৩০ সেপ্টেম্বর রাতে পাপিয়ার বাবার বাড়ি উপজেলার হিলালপুর গ্রামে শামীমের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। কিন্তু এ বিয়ে মেনে নেয়নি শামীমের পরিবার। বৃহস্পতিবার বিকেলে পাপিয়াকে রেখে নিজ বাড়িতে যান শামীম। এরপর গভীর রাতেও ফিরে না আসায় দু’জনের মধ্যে মোবাইল ফোনে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে রাতেই ওড়না দিয়ে ঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস নেন পাপিয়া। সকালে পরিবারের লোকেরা ডাকাডাকি করে সাড়া না পেয়ে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে পাপিয়ার নিথর দেহ ফ্যানের সঙ্গে ঝুলতে দেখেন। পরে থানায় খবর দিলে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।পাপিয়ার বাবা ওমর আলী জানান, তার মেয়েকে রেখে শামীম পালিয়ে বাড়ি চলে যাওয়ায় পাপিয়া আত্মহত্যা করেছে।এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য শামীমের মোবাইল ফোনে কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। মির্জাপুরে তাদের বাড়িতে গিয়েও কাউকে পাওয়া যায়নি। ঘরের দরজায় তালা লাগিয়ে সবাই আত্মগোপনে গেছেন বলে প্রতিবেশীরা জানিয়েছে।খোকশা থানার এসআই বুলবুল আহমেদ বলেন, এ ব্যাপারে অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আত্মহত্যা, নববধূ, খোকসা
পারস্পরিক স্বার্থে কাজ করতে ভারত-বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
প্রকাশ: ০৪ অক্টোবর ২০১৯ | ০৩:২৯
বাংলাদেশ ও ভারত বর্তমানে সর্বকালের সেরা সম্পর্ক উপভোগ করছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উভয় দেশের ব্যবসায়ীদের তাদের নিজ নিজ জনগণের পারস্পরিক স্বার্থে কাজ করে এই অঞ্চলটিকে আরও সমৃদ্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন।প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি আপনাদের সকলকে প্লাটফর্মটির সর্বোত্তম ব্যবহার করতে এবং আমাদের জনগণের বৃহত্তর পারস্পরিক স্বার্থে উভয় দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখার জন্য অনুরোধ করছি এবং এর মাধ্যমে আমরা আমাদের দেশ ও এই অঞ্চলকে আরও সমৃদ্ধ এবং ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত করতে পারবো।’শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী ভারতের নয়াদিল্লিতে হোটেল আইটিসি মৌরিয়ায় আয়োজিত ভারত-বাংলাদেশ বিজনেস ফোরামের (আইবিবিএফ) উদ্বোধনী অধিবেশনে ভাষণে একথা বলেন। খবর বাসসের আইবিবিএফের প্লাটফর্মের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বর্তমানে বাংলাদেশ ও ভারত সবচেয়ে ভাল সম্পর্ক উপভোগ করছে। রাজনৈতিক নেতৃত্ব ও আপনাদের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ সুনিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। প্লাটফর্মটি রয়েছে এবং আমরা আপনাদের প্রচেষ্টা সহজ করার জন্য সকল ধরনের সহায়তা প্রদানের জন্য প্রস্তুত রয়েছি।’প্রধানমন্ত্রী ভারতের ব্যবসায়ীদের বংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং হাইটেক পার্কগুলোতে বিনিয়োগ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘বেশ কয়েকটি হাইটেক পার্ক প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবনী উদ্যোগের জন্যও প্রস্তুত রয়েছে। মংলা, ভেড়ামারা ও মিরেরসরাইয়ে ভারতীয় বিনিয়োগকারীদের জন্য তিনটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রস্তুত করেছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের এই তিনটি ভারতীয় অর্থনৈতিক অঞ্চলে ভারতীয় বিনিয়োগকারীদের পর্যাপ্ত বিনিয়োগ আমাদের রফতানিযোগ্য খাতকে আরও প্রশস্ত করতে সহায়তা করবে।’‘আমরা সারাদেশে একশ’ বিশেষ অর্থনৈাতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ বাস্তবায়ন করছি, যার মধ্যে প্রায় ১২টি তৈরী হয়ে গেছে যেখানে ৪টি অঞ্চল ৩টি দেশের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে’, যোগ করেন তিনি।এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক কেন্দ্র হিসেবে বাংলাদেশের গড়ে ওঠার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বাংলাদেশের কৌশলগত ভৌগলিক অবস্থান দেশটিকে এই অঞ্চলের অর্থনীতির কেন্দ্র হিসেবে গড়ে ওঠার ক্ষেত্রে ব্যাপক সম্ভাবনার সৃষ্টি করেছে। পশ্চিমে ভারত, উত্তর দিকে চীন এবং পূর্বদিকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, বাংলাদেশ ৪ বিলিয়ন মানুষের বাজারের মাঝামাঝি রয়েছে।বৈশ্বিক সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ (এফডিআই) প্রবৃদ্ধির উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সালে আমাদের সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে বাংলাদেশে বৈশ্বিক এফডিআই’র ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধি বৈদেশিক বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশে প্রতি ক্রমবর্ধমান আস্থারই প্রতিফলন। সংসদের প্রাসঙ্গিক আইন এবং দ্বিপক্ষীয় বিনিয়োগ চুক্তির দ্বারা বিদেশি বিনিয়োগকে সুরক্ষা প্রদান করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা একসঙ্গে আরো বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ দেখতে চাই যেখানে ভারতীয় বড় বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে শিল্প স্থাপন করতে এবং আমাদের মধ্যে বিদ্যমান উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার সুযোগ নিয়ে উত্তর ভারতের রাজ্যগুলো এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশগুলোতে পণ্য রপ্তানী করতে পারে।’প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা জানি যে, বিশ্বের বেশিরভাগ বর্ধিষ্ণু অর্থনীতির দেশগুলো তাদের প্রতিবেশী দেশগুলিতেই তাদের প্রাথমিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগের প্রকল্প গ্রহণ করেছে।’একইভাবে ভারতীয় ব্যবসায়ী নেতারা আমাদের অর্থনৈতিক সম্ভাবনাকে আরও এগিয়ে নিতে খুব বড় ভূমিকা পালন করেতে পারেন এবং ঐক্যবদ্ধভাবে আমরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ বা ‘সোনার বাংলাদেশ’ গড়ে তুলতে সক্ষম হব এবং এভাবেই আমরা আমাদের শহিদ এবং মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি সর্বোচ্চ শ্রদ্ধা নিবেদন করতে পারি, বলেন তিনি।প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণে ভারতীয় ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দকে দেশে সবচেয়ে উদার বিনিয়োগ নীতি বলবৎ থাকার বিষয়টি পুণরায় স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশে সবচেয়ে উদার বিনিয়োগের পরিবেশ বিরাজ করছে। যার মধ্যে রয়েছে-বৈদেশিক বিনিয়োগের আইনী সুরক্ষা, উদার রাজস্ব ব্যবস্থা, মেশিনপত্র আমদানীর ক্ষেত্রে বিশেষ ছাড়, আনরেসট্রিকটেড এক্সিট পলিসি, সম্পূর্ণ বিনিয়োগ ও পুঁজি নিয়ে চলে যাবার সুবিধাসহ নানাবিধ সুযোগ সুবিধা।’এ প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, সংসদের প্রাসঙ্গিক আইন এবং দ্বিপক্ষীয় বিনিয়োগ চুক্তির দ্বারা ও বিদেশি বিনিয়োগকে সুরক্ষা প্রদান করা হয়েছে।প্রধানমন্ত্রী ভারতীয় বিনিয়োগকারীদের বিশাল জনসংখ্যা, যাদের বেশির ভাগের বয়স ২৫ বছরের কম, যারা অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক মজুরিতে নিযুক্ত হতে প্রস্তুতসহ বাংলাদেশের সম্ভাবনার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ‘দ্রুত নগরায়নের ফলে বিদ্যুতের চাহিদা বৃদ্ধি এবং মধ্যবিত্ত শ্রেনীর ক্রমবর্ধমান প্রবৃদ্ধি বাংলাদেশে বিনিয়োগকারীদের বাজার সম্ভাবনার দিকেই ইঙ্গিত করে।’সন্ত্রাস এবং দুর্নীতির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকার ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি অনুসরণ করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ১৬২ মিলিয়ন জনসংখ্যা সমন্বিত একটি প্রগতিশীল ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্র।’দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্রমবর্ধমান প্রবণতা সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিগত বছরগুলোতে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ক্রমাগত বৃদ্ধি পেয়েছে। বাণিজ্যের ভারসাম্য যদিও এখন পর্যন্ত ভারতের পক্ষে রয়েছে।’তিনি আরও বলেন, ‘দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণ প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলার। ২০১৮ সালে, বাংলাদেশে ৮ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রফতানি করে ভারত এবং বাংলাদেশ এই দেশটির আটতম বৃহত্তম রপ্তানী গন্তব্য। ভারতে আমাদের রপ্তানীও গত বছরের প্রথমবারের মতো ১ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। সুতরাং, অগ্রগতি দৃশ্যমান, তবে, বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে আমাদের সম্পর্ক আরও গভীর করার অনেক সুযোগ রয়েছে। ’অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ভারতের শিল্প ও রেলমন্ত্রী পীযূষ গয়াল, বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুন্সী, ফেডাবেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই)-রসভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম, ভারতের কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রির (সিআইআই)-র সভাপতি বিক্রম শ্রীকান্ত কিরলসকার, ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান চেম্বার্স অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি (এফআইসিসিআই)-র সভাপতি সন্দীপ সোমনি অ্যাসোসিয়েটেড চেম্বার্স অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি অব ইন্ডিয়া (এএসএসওসিএইচএএম)-এর সভাপতি বালকৃষ্ণ গোয়েঙ্কা ।অনুষ্ঠানে ‘প্রতিশ্রুতিশীল বাংলাদেশ’ শীর্ষক একটি ভিডিও উপস্থাপনা পরিবেশিত হয়।অনুষ্ঠানে ভারতে শিল্প ও রেলমন্ত্রী পীযূষ গয়াল বলেন, বাংলাদেশ ও ভারত এখন সবচেয়ে দৃঢ় সম্পর্ক উপভোগ করছে। তিনি সুসম্পর্কেও এই সুবিধা গ্রহণ করে দুই দেশের মানুষের উন্নতির জন্য অর্থনীতি এবং ব্যবসা-বাণিজ্য খাতকে আরও নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দিতে উভয় দেশের ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্য ভারসাম্য বজায় রাখার প্রয়োজনীযতার উপরও জোর দেন।অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সী ভারতীয় বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগ নিয়ে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী, শেখ হাসিনা
বিদ্যালয়ের কমিটি গঠন নিয়ে শিক্ষা কর্মকর্তার সঙ্গে আ’লীগ নেতার হাতাহাতি
প্রকাশ: ০৪ অক্টোবর ২০১৯ | ০৩:৩৯
ফেনীর সোনাগাজীতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদ কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার সঙ্গে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতির হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার বিকালে উপজেলার মজলিশপুর ইউনিয়নের চরমজলিশপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে রাতে উপজেলা ভারপ্রাপ্ত প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ওয়াহিদুজ্জামান সোনাগাজী মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।জানা গেছে, গত সপ্তাহে বিদ্যালয়টিতে চারজন অভিভাবক প্রতিনিধি মনোনীত করেন প্রধান শিক্ষক আসম মাসুদ। কাউকে না জানিয়ে গোপনে অনিয়ম করে অভিভাবক প্রতিনিধি মনোনীত করা হয়েছে এমন অভিযোগ এনে মজলিশপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি বিদ্যালয়টির বিদ্যাৎসাহী সদস্য নুরনবী মাস্টার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। বৃহস্পতিবার সেই অভিযোগের তদন্তকালে কমিটি গঠনের উদ্যোগ নিলে শিক্ষা কর্মকর্তার সঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতার হাতাহাতি হয়।শিক্ষা কর্মকর্তা ওয়াহিদুজ্জামান জানান, তদন্তকালে আওয়ামী লীগ নেতার অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি। এসময় উপস্থিত অভিভাবক প্রতিনিধি, শিক্ষার্থীদের অভিভাবকসহ দাতা সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে কমিটি গঠন করার উদ্যোগ নিলে আওয়ামী লীগ নেতা তার হাত থেকে কাগজপত্র কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। এক পর্যায়ে আওয়ামী লীগ নেতা নুরনবী মাস্টার তার হাতে আঘাত করেন। সবার মতামতের ভিত্তিতে নজরুল ইসলাম সুমনকে সভাপতি ঘোষণার পর নুরনবী মাস্টার আবারও উত্তেজিত হয়ে দেখে নিবেন বলে হুমকি দিয়ে চলে যান।অভিযোগ অস্বীকার আওয়ামী লীগ নেতা নুরনবী মাস্টার বলেন, প্রথমে অনিয়মের অভিযোগ তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে, তারপর শিক্ষা কর্মকর্তা কমিটি গঠনের উদ্যোগ নেবেন। কিন্ত তিনি নিয়ম না মেনে স্থানীয় একটি চক্রের প্ররোচনায় জনৈক সভাপতি প্রার্থীর কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা গ্রহণ করে কমিটি গঠনের উদ্যোগ নিলে আমি প্রতিবাদ করি। এখন নিজের অপরাধ আড়াল করতে শিক্ষা কর্মকর্তা ঘটনাটিকে ভিন্ন খাতে নেওয়ার অপচেষ্টা করছেন।
ফেনী, আওয়ামী লীগ নেতা, সোনাগাজী, হাতাহাতি
পূজায় শাকিব-অপুর পুরোনো ‘রাজনীতি’
প্রকাশ: ০৪ অক্টোবর ২০১৯ | ০৩:৪৩ | আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০১৯ | ০৫:১৮
শুক্রবার মানেই দেশের সিনেমা হলগুলোতে নতুন সিনেমা মুক্তি পাওয়ার দিন। কিন্তু এ শুক্রবার ফাঁকাই গেল বলা যায়। দুর্গাপূজার মতো উৎসবে হলে নতুন কোনো ছবি মুক্তি পায়নি। গত সপ্তাহে মুক্তি পাওয়া শুভ-মিমের ‘সাপলুডু’ চলছে কিছু হলে। আর বেশ কিছু হলে শাকিব খানের পুরোনো ছবি নতুন করে প্রদর্শিত হচ্ছে। শাকিব খান ও অপু বিশ্বাস জুটির ছবি ‘রাজনীতি’। বুলবুল বিশ্বাস পরিচালিত এ ছবি মুক্তি পায় ২০১৭ সালের রোজার ঈদে।  সে সময় ছবিটি বেশ দর্শকপ্রিয়তা পায়। এই ছবিটিই এবার নতুন করে মুক্তি পেলে রাজধানীর ঐতিহ্যবাহী সিনেমা হল 'মধুমিতা'য়।দুর্গাপূজায় হলে শাকিব খানের পুরোনো ছবি প্রদর্শণের বিষয়ে মধুমিতা সিনেমা হলের কর্ণধার ইফতেখার উদ্দিন নওশাদ বলেন, ‘নতুন ছবি মুক্তি না পেলে তো আমাদের পুরোনো ছবিই চালাতে হয়। কী আর করা! গত সপ্তাহে 'সাপলুডু' চালিয়েছি। এ সপ্তাহে নতুন ছবি না থাকায় শাকিব খানের পুরোনো ছবি 'রাজনীতি' চালাচ্ছি। ছবিটি যখন এ হলে মুক্তি পেয়েছিল তখন ভালো চলেছে। তা ছাড়া  নতুন ছবির চেয়ে শাকিব খানের পুরোনো ছবিও দর্শক বেশি টানে। শুক্রবারের প্রথম শোতো প্রায় হাউসফুলই গেল।’এদিকে, ‘রাজনীতি’র পরিচালক বুলবুল বিশ্বাস বলেন, ২০১৭ সালের জুনে মুক্তি পেলেও এরপর থেকে প্রতি সপ্তাহে দেশের কোনো না কোনো সিনেমা হলে ‘রাজনীতি’ প্রদর্শিত হয়েছে। এমনকি নতুন ছবি মুক্তি পেলেও তার সঙ্গে চলেছে ‘রাজনীতি’। সর্বশেষ ১৩ সেপ্টেম্বর ‘মায়াবতী’ ও ‘অবতার’ নামে দুই ছবি মুক্তির সঙ্গে ‘রাজনীতি’ চলেছে ফতুল্লার একটি সিনেমা হলে।শাকিব খান ও অপু বিশ্বাস অভিনীত ‘রাজনীতি’ ছবিতে আরও অভিনয় করেছেন আনিসুর রহমান মিলন, অমিত হাসান, আলী রাজ, সাবেরী আলম, সাদেক বাচ্চু প্রমুখ। অ্যারো মোশন আর্টসের ব্যানারে পরিবেশিত ‘রাজনীতি’ প্রযোজনা করেছেন আশফাক আহমেদ।
রাজনীতি, শাকিব খান, অপু বিশ্বাস
সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে ঢুকছে পেঁয়াজভর্তি ২০০ ট্রাক
প্রকাশ: ০৪ অক্টোবর ২০১৯ | ০৪:১২ | আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০১৯ | ০৪:১৬
ভারতের মহদিপুর স্থলবন্দরে গত সাত দিন ধরে আটকে থাকা পেঁয়াজভর্তি ২০০ ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশ করতে শুরু করেছে। মহদিপুর স্থলবন্দর সিএন্ডএফ এজেন্ট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ভূপতি মন্ডল জানান, শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে বিশেষ ব্যবস্থায় ভারতের পেঁয়াজভর্তি ট্রাকগুলো প্রবেশ করতে শুরু করেছে। সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে সবগুলো ট্রাক প্রবেশ করবে।তিনি বলেন, ভারতের শিল্প-বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এক নির্দেশনা জারি করে ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয়। এর ফলে মহদিপুর স্থলবন্দরে পেঁয়াজভর্তি প্রায় ২০০ ট্রাক আটকা পড়ে। মহদিপুরের স্থানীয় রপ্তারিকারকেরা এ পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি চেয়ে দেশটির সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে আবেদন করলে তা অনুমোদন দেওয়া হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার উভয় বন্দরে সাধারণ ছুটি থাকার পরও দুপুর থেকে পেঁয়াজভর্তি ট্রাকগুলো বিশেষ ব্যবস্থায় বাংলাদেশে ঢুকতে শুরু করে।সোনামসজিদ স্থলবন্দরের সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মেসবা আহমেদ জানান, দুপুর ৩টা পর্যন্ত পেঁয়াজভর্তি ৭০টি ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। বাকিগুলো সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে প্রবেশ করবে। এ ব্যাপারে সোনামসজিদ স্থলবন্দরে দায়িতরত্ব কাস্টমস পরির্দশক বুলবুল জানান, শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে মহদিপুর স্থলবন্দর থেকে পেঁয়াজভর্তি ট্রাকগুলো সোনামসজিদ স্থলবন্দরে প্রবেশ করছে।
পেঁয়াজ, সোনামসজিদ স্থলবন্দর
নতুন সঙ্গীতায়োজনে ডলি সায়ন্তনীর দুই গান
প্রকাশ: ০৪ অক্টোবর ২০১৯ | ০৪:১৬
নব্বই দশকের জনপ্রিয় শিল্পী ডলি সায়ন্তনী। সে সময়ে বেশ কিছু মর্ডান ফোক গান গেয়ে আলোড়ন তুলেন এ গাযিকা। তার জনপ্রিয় গানের দুটি হচ্ছে 'বুড়ি হইলাম তোর কারণে' ও 'শ্যাম তুমি লীলা বোঝো'। এই দুটি গানই নতুন ফোক ফিউশনে নিয়ে আসছেন তিনি। ডলি সায়ন্তনী জানান, দুই যুগ পর তার গাওয়া 'বুড়ি হইলাম তোর কারণে' গানটি নতুন করে রেকর্ড করেছেন। একইসঙ্গে ভিন্ন ধাঁচের সঙ্গীত আয়োজনে রেকর্ড করেছেন 'শ্যাম তুমি লীলা বোঝো' গানটি। দুটি গানের কথা ও সুর অপরিবর্তিত রেখে মিউজিক কম্পোজিশনে নতুনত্ব তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। বুড়ি হইলাম তোর কারণে' গানের সঙ্গীত আয়োজন করেছেন পার্থ মজুমদার ও এমিল। শ্যাম তুমি লীলা বোঝো গানের সঙ্গীত আয়োজনেও অংশ নিয়েছেন এমিল। তার সঙ্গে যৌথভাবে সঙ্গীত আয়োজন করেছেন ক্লোজআপ ওয়ান তারকা সাব্বির জামান। দুটি গানের মিউজিক ভিডিওর পরিচালনা করেছেন আলী নূর আশিক। সম্প্রতি মিরপুর ডিওএইচএসের স্টার টি ভিশন হাউসে গানের দৃশ্যধারণ শেষ হয়েছে। ভিডিওতে দেখা যাবে ডলি সায়ন্তনী ও তার গানের মিউজিশিয়ানদের।স্টুডিও বেইজডের ব্যানারে শিগগির এ গান দুটির ভিডিও ডলি সায়ন্তনীর নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ পাবে বলেও শিল্পী জানান। পুরোনো গানকে  নতুন করে আবারও ফোক ফিউশন গানের প্রকাশনা নিয়ে ডলি সায়ন্তনী বলেন, 'লোকগানের আবেদন হাজার বছরেও ম্লান হয়নি। কারণ, এর কথায় আছে জীবনবোধ, সৃষ্টির মহিমা আর সুরে আছে প্রকৃতির নির্যাস। যদিও সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিতে গিয়ে আমরা সঙ্গীতে নতুন মাত্রা যোগ করার চেষ্টা করে যাচ্ছি, কিন্তু লোকগানের কথা ও সুরে কোনো বিকৃতি ঘটতে দিচ্ছি না। কারণ, এ দুটি বিষয় গানের প্রাণ, যা যুগ যুগ ধরে শ্রোতার মনে অনুরণন তুলে যায়। এ ভাবনা থেকেই শ্রোতার মাঝে সাড়া জাগানো দুটি গান নতুন করে রেকর্ড করা। গান এখন শোনার পাশাপাশি দেখার বিষয় হয়ে উঠেছে, তাই মিউজিক ভিডিও আকারে এই ফোক ফিউশন গান দুটি প্রকাশের সিদ্ধান্ত নেওয়া। আশা করছি, এ আয়োজন দর্শক-শ্রোতার ভালো লাগবে।'
ডলি সায়ন্তনী, বিনোদন
সালথায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষে আহত ১৫
প্রকাশ: ০৪ অক্টোবর ২০১৯ | ০৪:২৩ | আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০১৯ | ০৭:১২
ফরিদপুরের সালথায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে গ্রামবাসীর দুই পক্ষের সংঘর্ষে ১৫ জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার সকালে উপজেলার যদুনন্দী ইউনিয়নের খারদিয়া গ্রামে এ সংঘর্ষ হয়।স্থানীয়রা জানান, বেশ কয়েকদিন যাবত খারদিয়া গ্রামে আলমগীর মিয়ার সমর্থক ও তার প্রতিপক্ষ টুলু মিয়া-রফিক মোল্যার সমর্থকদের মধ্যে আধিপত্য নিয়ে উত্তেজনা চলছিলো। এরই জেরে সকালে টুলু মিয়া-রফিক মোল্যার সমর্থকরা আলমগীর মিয়ার সমর্থকদের সঙ্গে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। দুই ঘণ্টাব্যাপী চলা এ সংঘর্ষে উভয় দলের অন্তত ১৫ জন আহত হন। আহতদের ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সালথা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এলাকা শান্ত রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। 
ফরিদপুর, সংঘর্ষ
আবারও শুভেচ্ছাদূত জয়া
প্রকাশ: ০৪ অক্টোবর ২০১৯ | ০৪:৪৬ | আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০১৯ | ০৪:৪৯
দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। ঢাকার চেয়ে কলকাতার ছবির শুটিং নিয়েই ব্যস্ততা বেশি এখন। অভিনয়ের পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডেও নিজেকে জড়াতে দেখা যায় এ অভিনেত্রীকে। বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানের শুভেচ্ছাদূতের দায়িত্বও পালন করছেন তিনি। গত ৩ অক্টোবর নতুন করে একটি প্রতিষ্ঠানের শুভেচ্ছাদূত হিসেবে চুক্তিবদ্ধ হলেন তিনি। প্রতিষ্ঠানটির নাম ডিবিএল সিরামিকস। চুক্তিনুযায়ী এখন থেকে ডিবিএল সিরামিকসের বিভিন্ন প্রমোশনাল কার্যক্রমে দেখা যাবে জয়া আহসানকে।রাজধানীর একটি হোটেলে ওইদিন সন্ধ্যায় চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে জয়া আহসান ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা।শুভেচ্ছাদূত হওয়া প্রসঙ্গে জয়া আহসান বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানটির পণ্যের সঙ্গে আমি আগে থেকেই পরিচিত। তারা দেশের মানুষকে ভালো কিছু উপহার দিতে চান। বিষয়টি আমার ভালো লেগেছে। তাই প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে যুক্ত হওয়া।’এদিকে, সম্প্রতি তিনি বেশকিছু করপোরেট প্রতিষ্ঠানের সঙ্গেও যুক্ত হয়েছেন। এর আগে ইউনিলিভারের পণ্য 'ভিম'-এর শুভেচ্ছাদূত হিসেবেও তাকে দেখা গেছে। অংশ নিচ্ছেন বিভিন্ন পণ্যের প্রচার ও বিজ্ঞাপনে।বর্তমানে জয়া আহসান বাংলাদেশে অভিনয় করছেন নুরুল আলম আতিকের 'লাল মোরগের জুটি,' সামুরাই মারুফের 'পারলে ঠেকা' ছবিতে। জয়া অভিনীত মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে নুরুল আলম আতিকের 'পেয়ারার সুবাস ও মাহমুদ দিদার পরিচালিত ছবি 'বিউটি সর্কাস'। আর কলকাতায় 'রবিবার' ও 'ভূতপরী' ছবিতে অভিনয় করেছেন জয়া।
জয়া আহসান, শুভেচ্ছাদূত
যেখানে প্রিয়াঙ্কা ভয় পান বেশি
প্রকাশ: ০৪ অক্টোবর ২০১৯ | ০৪:৫৬ | আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০১৯ | ০৫:০২
অভিনয়, গান এবং প্রযোজনাতে বেশ সুনাম কুড়িয়েছেন 'দেশি গার্ল' প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে তার আগামী ছবি 'দ্য স্কাই ইজ পিঙ্ক'। তবে একটি কাজে ভীষণ ভয় অভিনেত্রীর। আর সেটি হলো ছবি পরিচালনার ক্ষেত্রে। প্রিয়াঙ্কা বলেন, পরিচালকের আসনে বসা অতটা সহজ নয়। এতে অনেক দায়িত্ব থাকে। এই বিষয়ে ভাবলেই মনের মধ্যে একটা ভীতি কাজ করে। কিন্তু যেভাবে প্রযোজনা ব্যবস্থা সামলে চলেছেন ঠিক সেইভাবেই ভবিষ্যতে পরিচালনা করতে পারেন তিনি ইন্ডিয়া টুডের এক প্রতিবেদনে এমনটাই বলা হয়েছে।ছবি পরিচালনার বিষয়ে সম্প্রতি প্রিয়াঙ্কার কাছে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, 'এটি এমন একটি কাজ যেটা ভাবতে ভয় লাগে এবং চিন্তাও হয়। পরিচালনায় অনেক দায়িত্ব থাকে। কিন্তু যেভাবে অভিনয় থেকে প্রযোজনায় এসেছি, ঠিক তেমনই পরিচালনায় চলে আসব আশা করা যেতে পারে।' এদিকে, পরিচালক সোনালী বোসের প্রশংসায় পঞ্চমুখ অভিনেত্রী।তিনি বলেন, 'সোনালী একজন অসাধারণ পরিচালক। আমার মনে হয় না পরিচালনা শুধু পুরুষরাই করে থাকেন। মহিলারাও করতে পারেন। মহিলা, পুরুষ নির্বিশেষে সবাই এই কাজ করে থাকেন। সোনালীর সঙ্গে কাজ করতে পেরে আমি গর্বীত। তিনি একজন অসাধারণ চলচ্চিত্র নির্মাতা।'টরেন্টো ফিল্ম ফেস্টিভেলে সোনালী বোসের 'দ্য স্কাই ইজ পিঙ্ক' প্রশংসা অর্জন করেছে। প্রিয়াঙ্কার পাশাপাশি এতে আরও অভিনয় করেছেন  দেখা যাবে ফারহান আখতার ও জায়রা ওয়াসিম। ছবিটি ১৩ অক্টোবর মুক্তি পাবে।
প্রিয়াঙ্কা চোপড়া, বিনোদন
সৌমিত্র, অপর্ণাসহ ৫০ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ
প্রকাশ: ০৪ অক্টোবর ২০১৯ | ০৫:০২ | আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০১৯ | ০৭:১১
ইতিহাসবিদ রামচন্দ্র গুহ, অভিনেত্রী-পরিচালক অপর্ণা সেন, মনিরত্নম, অনুরাগ কাশ্যপ, অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়সহ ভারতের ৫০ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। দেশটিতে ক্রমবর্ধমান গণপিটুনির ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে এ বছর জুলাই মাসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে খোলা চিঠি দিয়েছিলেন ওই বিশিষ্টজনেরা।বৃহস্পতিবার বিহারের মুজফ্ফরপুরে এফআইআর দায়ের করা হয়।প্রধানমন্ত্রীকে বিশিষ্টজনদের এই চিঠি পাঠানোর বিষয়টি নিয়ে মুজফ্ফরপুরের মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট (সিজেএম) সূর্যকান্ত তিওয়ারির কাছে মাস দুয়েক আগে একটি পিটিশন দাখিল করেন আইনজীবী সুধীর কুমার ওঝা। সেই পিটিশনের ভিত্তিতে গত ২০ অগস্ট একটি নির্দেশ দেন সিজেএম সূর্যকান্ত তিওয়ারি। সেই নির্দেশের ভিত্তিতেই বৃহস্পতিবার সদর পুলিশ স্টেশনে এফআইআর দায়ের করেন সুধীর।এ বিষয়ে সুধীর বলেন, আমার পিটিশন গ্রহণ করে সিজেএম গত ২০ অগস্ট একটি নির্দেশ দেন। সেই সূত্র ধরেই বৃহস্পতিবার সদর পুলিশ স্টেশনে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।চিঠির বিষয়ে সুধীর বলেন, ওই চিঠিতে স্বাক্ষরকারীরা দেশের মানুষকে কলঙ্কিত করতে চেয়েছেন এবং প্রধানমন্ত্রীর চেষ্টাকে খাটো করে দেখাতে চেয়েছেন।ওই চিঠির মাধ্যমে বিশিষ্টজনদের বিচ্ছিন্নতাকামী মানসিকতাও ফুটে উঠেছে বলে জানিয়েছেন ওই আইনজীবী।এফআইআর নিয়ে পুলিশ জানিয়েছে, ভারতীয় দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারায় রাষ্ট্রদ্রোহ, ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত, শান্তিভঙ্গে প্ররোচণা দেওয়ায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।প্রসঙ্গত, গত ২৩ জুলাই প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছিলেন দেশের প্রায় ৫০ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি। সেই চিঠিতে স্বাক্ষর ছিল রামচন্দ্র গুহ, অপর্ণা সেন, মণিরত্নম, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, শুভা মুদগল, অনুরাগ কাশ্যপ, শ্যাম বেনেগলের মতো সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশিষ্টজনদের। চিঠিতে বলা হয়েছিল, ‘দুঃখজনকভাবে জয় শ্রীরাম এখন উত্তেজনামূলক যুদ্ধের হুঙ্কারে পরিণত হয়েছে। যার জেরে আইন-শৃঙ্খলার সমস্যা হচ্ছে এবং রাম নাম নিয়ে অনেক জায়গায় গণপিটুনির ঘটনাও ঘটছে। এটা দুঃখজনক যে, ধর্মের নাম নিয়ে হিংসার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। এটা মধ্যযুগ নয়! রামচন্দ্রের নাম ভারতের বেশিরভাগ মানুষের কাছে পবিত্র। দেশের সর্বোচ্চ শাসক হিসেবে আপনার উচিত, এই ধরনের ঘটনা বন্ধ করা।’
এফআইআর
অতিরিক্ত দামে পেঁয়াজ বিক্রির দায়ে তিন প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা
প্রকাশ: ০৪ অক্টোবর ২০১৯ | ০৫:০৮
পেঁয়াজের নির্ধারিত মূল্য তালিকার চেয়ে অতিরিক্ত দাম আদায়ের দায়ে মৌলভীবাজারে তিন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে ১৬ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর।শুক্রবার সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত শহরের টিসি মার্কেট, কোর্ট রোড ও পুরাতন হাসপাতাল এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে এই জরিমানা আদায় করা হয়। অভিযানকালে কোর্ট রোডে অবস্থিত রকিব স্টোরকে ১০ হাজার টাকা, টিসি মার্কেটের দয়াল স্টোরকে ৩ হাজার টাকা ও পুরাতন হাসপাতাল সড়কের নিউ নাগ ব্রাদার্সকে ৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক মো. আল-আমিন বলেন, গুজব ছড়িয়ে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি করছেন ব্যবসায়ীরা। মূল্য তালিকার চেয়ে অতিরিক্ত দামে পেঁয়াজ বিক্রির দায়ে এই প্রতিষ্ঠানগুলোকে জরিমানা করা হয়।
পেঁয়াজ
তীব্র স্রোতে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়ায় লঞ্চ চলাচল বন্ধ
প্রকাশ: ০৪ অক্টোবর ২০১৯ | ০৫:২০ | আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০১৯ | ০৫:৩০
পদ্মায় তীব্র স্রোত ও ভয়াবহ নদী ভাঙনের কবলে পড়ে যানবাহন পারাপারে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে দেশের ব্যাস্ততম নৌপথ দৌলতদিয়া-পাটুরিয়ায়। এরই মধ্যে ভাঙনের কবলে পড়ে বন্ধ হয়ে গেছে দু’টি ফেরি ঘাট। বাকি চারটি ঘাটে ফেরি ভিড়তে বেগ পেতে হলেও দীর্ঘ সময় নিয়ে কোনরকমে সেখান দিয়ে পারাপার করা হচ্ছে যানবাহন।এদিকে শুক্রবার দুপুর একটার দিকে দৌলতদিয়া ঘাট পরিদর্শন শেষে রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক দিলসাদ বেগম ঘাট সংশ্লিষ্ট উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে লঞ্চ চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত দেন। লঞ্চ চলাচল বন্ধ হওয়ায় সাধারণ যাত্রীদের ফেরিতে পারাপার হতে বলছে দৌলতদিয়া লঞ্চ ঘাট কর্তৃপক্ষ।এ সময় রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক দিলসাদ বেগম বলেন, 'তীব্র স্রোতে দৌলতদিয়ায় লঞ্চ চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় তা বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। স্রোত কমলে ও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পুনরায় লঞ্চ চলাচল শুরু হবে।'এর আগে গত বৃহস্পতিবার দৌলতদিয়া ১ নম্বর ফেরিঘাট ও ২ নম্বর ফেরিঘাটের মাঝে থাকা সিদ্দিক ব্যপারীর পাড়া গ্রামের বিশাল অংশ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এতে করে অন্তত ২০০ পরিবার তাদের বসতভিটা হারিয়েছে এবং বন্ধ হয়ে গেছে ওই দু'টি ফেরি ঘাট।বিআইডব্লিটিসি দৌলতদিয়া কার্যালয়ের তথ্যমতে, নদীর দৌলতদিয়া প্রান্তে থাকা ছয়টি ঘাটের মধ্যে ভাঙ্গনের কবলে পড়ে ১ নম্বর ও ২ নম্বর ফেরি ঘাট সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গেছে। ৪ নম্বর ফেরি ঘাটটি সচল থাকলেও তীব্র স্রোতের কারণে সেখানে ফেরি ভিড়তে পারছে না। বাকি ৩ নম্বর, ৫ নম্বর ও ৬ নম্বর ঘাট সচল রয়েছে। তবে এ সকল ঘাটেও ফেরি ভিড়তে অনেক বেগ পেতে হচ্ছে এবং অনেক সময় লাগছে।সূত্র আরো জানায়, এই নৌরুটে চলাচলের জন্য ১৬টি ফেরি থাকলেও ১৩টি ফেরি সচল রয়েছে। সচল থাকা ফেরিগুলোর মধ্যে বড় ৫টি ফেরি সার্বক্ষণিক চলাচল করতে পারছে। বাকি ৮ টি ফেরি তীব্র স্রোতের কারনে ঠিকমত চলতে পারছে না। এই ফেরিগুলো মাঝে মধ্যে দীর্ঘ চেষ্টা করে দু'একটি ট্রিপ দিচ্ছে।শুক্রবার সরেজমিনে দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটের ২ নম্বর ঘাট এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, সেখানে একের পর এক বড় বড় মাটির চাপ ভেঙে পড়ছে নদীতে। উৎসুক শত শত মানুষ ভাঙ্গন দেখছে।পদ্মার দুই পাড়ে পারাপারের অপেক্ষায় শত শত যানবাহন- সমকালএ সময় অনেকেই জানান, পদ্মার পানি বৃদ্ধির সাথে মুহূর্তের মধ্যে বসতবাড়ি নদীগর্ভে চলে গেছে। ভাঙনরোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড যে বালুর বস্তা ফেলছে তা কোনো কাজেই আসছে না। পূর্বের স্থাপন করা বালুভর্তি জিও ব্যাগ আগেই নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের সবগুলো ঘাট নদী গর্ভে বিলীন হয়ে চলে যাবে।এদিকে সরেজমিনে দৌলতদিয়া ঘাটের জিরো পয়েন্টে গিয়ে দেখা যায়, জিরো পয়েন্ট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার এলাকায় যাত্রিবাহী বাস পারের অপেক্ষায় সিরিয়ালে আছে। এছাড়াও গোয়ালন্দ ঘাট থেকে নয় কিলোমিটার পিছনে গোয়ালন্দ মোড় থেকে রাজবাড়ী সদর উপজেলার জামাই পালের মাজার পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার এলাকায় সিরিয়ালে আটকে রাখা হয়েছে পণ্যবাহী ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান।এ সময় বাস চালকেরা জানান, দৌলতদিয়া ঘাটে এখন যাত্রী নিয়ে দীর্ঘ সময় বসে থাকতে হচ্ছে। তারপর পাওয়া যাচ্ছে না ফেরি।এদিকে গোয়ালন্দ মোড় এলাকায় সিরিয়ালে আটকে থাকা ট্রাক চালকেরা জানান, গোয়ালন্দ মোড় এলাকায় যেখানে আটকে রাখা হয়েছে, সেখানে নেই কোন দোকান, হোটেল ও প্রসাব-পায়খানার ব্যবস্থা। যে কারনে প্রচন্ড কষ্ট করতে হচ্ছে তাদের। এছাড়াও ছিনতাই ও ছিচকে চোরের উৎপাত রয়েছে।রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ মোড় এলাকায় কর্মরত (টিএসআই) মো. রেজাউল করিম জানান, ঘাটের এই অবস্থা দেখে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হয়েছে। পণ্যবাহী ট্রাকগুলোকে বিবল্প সড়ক হিসেবে সিরাজগঞ্জ সেতু ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তারপরও ট্রাক চালকেরা ওই রুট ব্যবহার করতে রাজি না। তারা তেল খরচ বাঁচানোর জন্য এখানেই বসে থাকছে।বিআইডব্লিটিসি দৌলতদিয়া কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক আবু আব্দুল্লাহ রনি বলেন, 'প্রবল স্রোত ও নদী ভাঙ্গন এইসব প্রাকৃতিক কারণ। আমাদের যে ফেরি সচল আছে সেগুলো দিয়ে পার করা সম্ভব নয়। কারণ নদীতে স্রোতে ছোট ফেরিগুলোকে টেনে কয়েক মাইল দূরে নিয়ে যাচ্ছে। বড় ফেরি ঘাটে আসতে সময় লাগছে ২ ঘন্টারও বেশি। তারপরও আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।'পানি উন্নয়ন বোর্ড রাজবাড়ীর প্রকৌশলী মো. সফিকুল ইসলাম জানান, হঠাৎ পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় রাজবাড়ীর কয়েকটি পয়েন্টে নদী ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। এরমধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটের।
গোয়ালন্দ, তীব্র স্রোত, পদ্মা নদী, নদী ভাঙন, দৌলতদিয়া, পাটুরিয়া, লঞ্চ চলাচল বন্ধ
রণবীরের গাড়ির দাম কত?
প্রকাশ: ০৪ অক্টোবর ২০১৯ | ০৫:৩৭ | আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০১৯ | ০৫:৪৬
বলিউড তারকা রণবীর সিং প্রতিদিনই নানা কারণে আলোচনায় আসেন। এবার বিলাসবহুল একটি গাড়ি কিনে আবারও সংবাদের শিরোনাম হলেন তিনি। এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মু্ম্বাইয়ের একটি শোরুম থেকে ৩ কোটি রুপি দিয়ে বিলাসবহুল ল্যাম্বারগিনি গাড়ি কেনেন। এটা বিশ্বের প্রথম সুপার স্পোর্ট ইউটিলিটি যান। গাড়িটি নিয়ে নিজেই চালিয়ে মুম্বাই শহরে চষে বেড়িয়েছেন বলিউডের এই সময়ের অন্যতম জনপ্রিয় তারকা।গাড়ির রং লাল। তাই গাড়ির রঙের সঙ্গে মিলিয়ে তিনি পরেছিলেন লাল ভেলভেটের টুপি।রণবীর সিং এই মুহূর্তে ব্যস্ত রয়েছেন তার আগামী ছবি 'এইটি থ্রি' নিয়ে। ১৯৮৩ সালে ভারত প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ ক্রিকেটে জয়লাভ করে। ভারতের সেই গৌরবোজ্জ্বল মুহূর্তকে এবার দেখা যাবে সেলুলয়েডের পর্দায়। 'এইটি থ্রি' নামের এই সিনেমা পরিচালনা করবেন 'বজরঙ্গি ভাইজান'–এর পরিচালক কবির খান। 
রণবীর সিং, বিনোদন
কমলনগরে ট্রাকচাপায় নিহত ২
প্রকাশ: ০৪ অক্টোবর ২০১৯ | ০৬:০৭ | আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০১৯ | ০৭:০৩
লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে ট্রাকচাপায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে রামগতি-লক্ষ্মীপুর আঞ্চলিক সড়কের কমলনগর উপজেলার তোরাবগঞ্জ বাজার সংলগ্ন ভাইস চেয়ারম্যান রাস্তার মাথায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- হাজিরহাট ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি করুণানগর এলাকার বাসিন্দা পার্থ কুমার দাস (৪৭)  ও একই এলাকার রুপক মণ্ডল (২৯)। স্থানীয়রা জানান, লক্ষ্মীপুরগামী মাছবাহী একটি ট্রাক বিপরীতগামী তোরাবগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা মোটরসাইকেলকে চাপা দেয়। এতে মোটরসাইকেল আরোহী রুপক মণ্ডল ঘটনাস্থলেই মারা যান এবং অন্য আরোহী স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা পার্থ গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কমলনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল হোসেন জানান, রাতে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। মরদেহ তাদের পরিবারের লোকজনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
সড়ক দুর্ঘটনা, নিহত
টেকনাফে রোহিঙ্গা কিশোরী ধর্ষণের ঘটনায় মামলা
প্রকাশ: ০৪ অক্টোবর ২০১৯ | ০৬:১৭
কক্সবাজারের টেকনাফে এক রোহিঙ্গা কিশোরী ধর্ষণের ঘটনায় মামলা করেছেন ওই নারীর বাবা। বৃহস্পতিবার রাতে ভুক্তভোগীর বাবা মোহাম্মদ শফিক বাদী হয়ে একজনকে অভিযুক্ত টেকনাফ থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামি হলেন-টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের রঙ্গিখালির নুরুল হুদার ছেলে মোহাম্মদ শাহ জাহান (৩২)।ভুক্তভোগী ওই রোহিঙ্গা নারীর বাবা বলেন, আমার মেয়ের উপর যারা এই বর্বরতা চালিয়েছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা রকিবুল ইসলাম খান বলেন, ভুক্তভোগীর বাবা একজনকে আসামি করে মামলা করেছে। আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। ভুক্তভোগী ওই রোহিঙ্গা নারীর ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য তাকে কক্সবাজার সিভিল সার্জনের কাছে পাঠানো হয়েছে।গত মঙ্গলবার টেকনাফের লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সি-২২ এর বাসিন্দা এক রোহিঙ্গা কিশোরী ধর্ষণের শিকার হয়। ভুক্তভোগীর পরিবারের অভিযোগ, এ ঘটনায় স্থানীয় লোকজন জড়িত। 
টেকনাফ, রোহিঙ্গা, ধর্ষণ
বাগেরহাটে তরুণীর মৃতদেহ উদ্ধার
প্রকাশ: ০৪ অক্টোবর ২০১৯ | ০৬:২০
বাগেরহাটে অজ্ঞাত পরিচয়ের আনুমানিক ১৮ বছর বয়সের এক তরুণীর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।শুক্রবার সকালে শহরের হাড়িখালী এলাকার কবিখোলা মাঠের পাশ থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বাগেরহাট মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আহম্মদ ফজলুল কবির সমকালকে বলেন, এলাকাবাসীর খবরের ভিত্তিতে অজ্ঞাত পরিচয়ের এক তরুণীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তার গায়ে ফিরোজা রংয়ের জামা এবং হলুদ রংয়ের পায়জামা ছিল। আমরা মরদেহের পরিচয় জানার চেষ্টা করছি।এসআই জানান, পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। ময়না তদন্ত শেষে তরুণীর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
বাগেরহাট, মৃতদেহ উদ্ধার, তরুণী
বাংলাদেশে ঢুকে মাছ শিকারের দায়ে ২৩ ভারতীয় জেলে আটক
প্রকাশ: ০৪ অক্টোবর ২০১৯ | ০৬:২৮
বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের জলসীমায় অবৈধভাবে প্রবেশ করে মাছ শিকারের অভিযোগে এমভি স্বর্ণা দীপ ও আমরিছা নামের ২টি ফিশিং ট্রালারসহ ২৩ ভারতীয় জেলেকে আটক করেছে নৌ-বাহিনী। শুক্রবার বিকেল ৪টায় আটককৃত জেলেদের মোংলা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। আটককৃতদের বিরুদ্ধে নৌ-বাহিনীর পক্ষে এসএম ভুইয়া বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছে।আটককৃতরা হলেন-হরিরঞ্জন, শুকুমার দাস, শ্রিমন্ত দাস, নিরোদ দাস, বিশ্বজিদ সাহা, অনীল পুরকাইত, গুরুপদ জানা, তপন পুরকাইত, বিজয় দাস, নিরঞ্জন দাস, প্রনব মন্ডল, আপান্না, কালিপদ সমন্ত, কার্তিক জেনা, দুদ কুমার ভুইয়া, আভি, পাওলিয়া, নারী সাম্মা, দানিয়া, রামু, রাম ও আপ্পানা। এসব জেলেদের বাড়ি ভারতের কোলকাতার চব্বিশ পরগোনা ও বিজয় নগর এলাকায়।মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল বাহার চৌধুরী বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে বাংলাদেশের জলসীমায় অবৈধভাবে প্রবেশ করে মাছ শিকারের সময় নৌবাহিনী ২টি ট্রলারসহ ২৩ জেলেকে আটক করে। আটক জেলেদের শুক্রবার বিকেলে মোংলা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। আমরা আটক জেলেদের আইনি প্রক্রিয়া শেষে বাগেরহাট আদালতে পাঠিয়েছি।
বঙ্গোপসাগর, মাছ শিকার, ভারতীয় জেলে
রাঁধুনিকে বলেছি পেঁয়াজ ছাড়া রান্না করতে: প্রধানমন্ত্রী
প্রকাশ: ০৪ অক্টোবর ২০১৯ | ০৬:৩৩ | আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০১৯ | ০৯:১৫
ভারত পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রসিকতার সুরে বলেছেন, হঠাৎ করে আপনারা বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছেন। এতে আমরা একটু সমস্যায় পড়েছি। আমি রাঁধুনিকে বলে দিয়েছি পেঁয়াজ ছাড়া রান্না করতে।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুক্রবার নয়াদিল্লিতে আইসিটি মৌর্য হোটেলের কামাল মহল হলে ভারত-বাংলাদেশ বিজনেস ফোরামের (আইবিবিএফ) উদ্বোধনী অধিবেশনে দেওয়া ভাষণে এ কথা বলেন।তিনি বলেন, আমি জানি না কেন আপনারা সরবরাহ বন্ধ করেছেন। আগে নোটিশ দিলে আমরা অন্য দেশ থেকে ব্যবস্থা করতে পারতাম। ভবিষ্যতে এমন কিছু করলে আগে জানালে ভালো হয়। খবর বাসসের।চলতি বছর বন্যার কারণে ভারতের মহারাষ্ট্র ও কর্ণাটকে পেঁয়াজের উৎপাদন কম হয়েছে। ফলে ভারতে পেঁয়াজের পাশাপাশি নিত্যপণ্যের দামও বাড়ছে গত কিছুদিন ধরে। এর পরিপ্রেক্ষিতে পেঁয়াজ রপ্তানি পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়েছে ভারত। ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বৈদেশিক বাণিজ্য শাখা রোববার এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।সরকারি হিসাবে বাংলাদেশে বছরে পেঁয়াজ উৎপাদন হয় ১৭ থেকে ১৯ লাখ মেট্রিক টনের মত। তাতে চাহিদা পূরণ না হওয়ায় আমদানি করতে হয় ৭ থেকে ১১ লাখ মেট্রিক টন, যার বেশিরভাগটাই আমদানি হয় ভারত থেকে।ভারতের বাজারে পেঁয়াজের দাম বাড়তে থাকায় গত ১৩ সেপ্টেম্বর দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বৈদেশিক বাণিজ্য শাখা প্রতি মেট্রিক টন পেঁয়াজের ন্যূনতম রপ্তানি মূল্য ৮৫০ ডলার নির্ধারণ করে দেয়। আর ওই খবরে বাংলাদেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম রাতারাতি বেড়ে যায় ২০ থেকে ২৫ টাকা। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে ব্যবসায়ীদের নিয়ে কয়েক দফা বৈঠক কর বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। তবে তাতে পেঁয়াজের দাম কমেনি। এ অবস্থায় টিসিবি খোলাবাজারে পেঁয়াজ বিক্রি শুরু করেছে। 
প্রধানমন্ত্রী, শেখ হাসিনা, পেঁয়াজ
তিস্তা চুক্তি সম্পাদনে অগ্রগতি কতদূর?
প্রকাশ: ০৪ অক্টোবর ২০১৯ | ০৭:২২ | আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০১৯ | ০৭:২৬
চারদিনের রাষ্ট্রীয় সফরে বর্তমানে ভারতে অবস্থান করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। টানা তৃতীয় মেয়াদে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণের পর তার প্রথম এই ভারত সফরে তিস্তা চুক্তি প্রশ্নে কোনো অগ্রগতি হয় কি-না সেটা জানতে বরাবরের মতোই আগ্রহী মানুষ।এই প্রেক্ষাপটে ভারত ও বাংলাদেশের সরকারি কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তিস্তা নিয়ে এখনই কোনো চুক্তি না হলেও ৫৪টি অভিন্ন নদীর পানিবণ্টন নিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে একটি সমঝোতা হতে পারে। আর এই সমঝোতাই ভবিষ্যতে তিস্তা চুক্তির ভিত তৈরি করতে পারে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।সিকিমের পাওহুনরি হিমবাহে উৎপত্তির পর প্রায় দুইশ' মাইল পথ বেয়ে তিস্তা নদী ব্রহ্মপুত্রে গিয়ে মিশেছে বাংলাদেশের ভেতর। এই নদীর পানি ভাগাভাগি নিয়ে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বহু বছরের যে জটিলতা, তা কাটিয়ে ওঠার লক্ষ্যে দিল্লির সাম্প্রতিক তৎপরতা চোখে পড়ার মতো।এ বিষয়ে বিবেকানন্দ ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশনের সিনিয়র ফেলো শ্রীরাধা দত্ত বলেন, 'বাংলাদেশের একটা বহুদিনের দাবি ৫৪টি অভিন্ন নদী নিয়েই একটা সর্বাত্মক চুক্তি হোক। আমার ধারণা এবার সে ব্যাপারে ভারত নীতিগতভাবে রাজি হবে, যাতে এসব নদীগুলোকে কভার করে সেগুলোর বেসিন ম্যানেজমেন্ট নিয়ে একটা সমঝোতা সম্ভব হয়। আলাদা করে প্রতিটি নদী নিয়ে হয়তো এখনই কিছু হবে না, তবে তিস্তাসহ সবগুলো নদীর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে এমন একটা ফ্রেমওয়ার্ক বা কাঠামো কিন্তু হতে পারে বলেই আমরা শুনতে পাচ্ছি।'এদিকে কিছুদিন আগেই দিল্লিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির মধ্যে একান্ত বৈঠক হয়। আড়াই বছর পর দু'জনের প্রথম সাক্ষাতে তিস্তা চুক্তির প্রশ্নে মমতা ব্যানার্জি কিছুটা নমনীয়তা দেখিয়েছেন বলেই ভারতের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে খবর এসেছে। এছাড়া ভারতে তিস্তার আরেক অংশীদার রাজ্য সিকিমের নতুন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেও সম্প্রতি বৈঠক করেছেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলি।তিনি বিবিসি বাংলাকে বলেন, 'আগস্টেই ভারতের পানিসম্পদ সচিব ঢাকায় গিয়েছিলেন। তখনই কিন্তু আমরা আলোচনা করেছি– শুধু তিস্তা নয়, ৫৪টি অভিন্ন নদী নিয়েই আসলে আমাদের এখন কিছু একটা করা দরকার। এই সবগুলো নদীতেই পলি জমেছে, নাব্যতা কমছে। পাশাপাশি বন্যা আর খরা দু'রকম সমস্যাতেই আমাদের ভুগতে হচ্ছে। ফলে আমরা এখন এই নদী অববাহিকাগুলোর যৌথ ব্যবস্থাপনার ভাবনা নিয়েই এগোতে চাচ্ছি। খরার মাসগুলোতে তিস্তার পানি আমরা কীভাবে ভাগাভাগি করতে পারি, সেটা সেই বৃহত্তর পরিকল্পনারই একটা অংশ।'ভারতীয় থিঙ্কট্যাঙ্ক অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের বাংলাদেশ বিশ্লেষক জয়িতা ভট্টাচার্য এ প্রসঙ্গে বলেন, "আসলে তিস্তার মতো একটা সংবেদনশীল বিষয় নিয়ে কোনও 'ইউফোরিয়া' বা আকাশচুম্বী প্রত্যাশা তৈরি হোক এটা ভারত বা বাংলাদেশ কেউই চায় না। কিন্তু তিস্তা নিয়ে 'হাইপ' এড়িয়ে যেতে চাইলেও জলসম্পদের মতো গুরুত্বপূর্ণ একটা ইস্যু অ্যাড্রেস করার ব্যাপারে দু'পক্ষই যত্নবান। কাজেই তিস্তা চুক্তি নিয়ে আশাবাদী হওয়ারও যথেষ্ট কারণ আছে। এমনকি গত মাসেই ঢাকা সফরে গিয়ে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করও বলে এসেছেন তিস্তার ইস্যুটা তারা দেখছেন।"ভারত ও বাংলাদেশ যদি সত্যিই এবার ৫৪টি অভিন্ন নদীর পানিসম্পদের ব্যবস্থাপনা নিয়ে কোনও সমঝোতায় পৌঁছতে পারে, সেটা ঢাকার জন্য একটা ইতিবাচক বার্তা বয়ে আনতে পারে। কারণ সেক্ষেত্রে তিস্তার প্রবাহ নিয়ে ভারতীয় রাজ্যগুলো তাদের মর্জিমাফিক কিছু করতে পারবে না, একটা আন্তর্জাতিক ফ্রেমওয়ার্ক তাদের মেনে চলতে হবে। আর তিস্তার ভাঁটির দেশ বাংলাদেশের জন্য ভরসার কথা সেখানেই।
তিস্তার পানিবণ্টন, তিস্তা চুক্তি, তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি
মুক্তির প্রশ্নে আপস করবেন না খালেদা জিয়া: মওদুদ
প্রকাশ: ০৪ অক্টোবর ২০১৯ | ০৮:২৬ | আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০১৯ | ০৯:০৫
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া মুক্তির প্রশ্নে সরকারের সঙ্গে কোনো আপস করবেন না বলে জানিয়েছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ।শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে মুক্তিযোদ্ধা দলের উদ্যোগে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা জানান।ব্যারিস্টার মওদুদ বলেন, খালেদা জিয়া আপসহীন নেত্রী, তিনি কারও কাছে কখনও মাথা নত করবেন না। প্রয়োজন হলে আরও নির্যাতন সহ্য করবেন, কষ্ট সহ্য করবেন; তবুও তিনি আপস করবেন না।তিনি বলেন, খালেদা জিয়া অবশ্যই জেলখানা থেকে বেরিয়ে আসবেন। হয় তার মুক্তি আইনি প্রক্রিয়ায় হবে, তা না হলে জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে তার মুক্তি হবে। অন্য কোনো পথে তার মুক্তি হবে না।দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়াকে সাজা দেওয়া প্রসঙ্গে ব্যারিস্টার মওদুদ বলেন, যে মামলায় খালেদা জিয়াকে সাজা দেওয়া হয়েছে, সেই দুই কোটি টাকা এখন আট কোটি হয়েছে। একটি পয়সাও তিনি স্পর্শ করেননি। কিন্তু সাজা হয়েছে। কারণ এটি একটি রাজনৈতিক মামলা ছিল, আইনগত মামলা ছিল না।সারাদেশে চলমান 'শুদ্ধি অভিযান' নিয়ে তিনি বলেন, 'সরকারের মুখোশ খুলে গেছে। ১০ বছর পর এই অভিযান একটি চালাকি। এ অভিযান হলো একটি আইওয়াশ। এটার কোনো গুরুত্ব ও তাৎপর্য দেখি না।'তবে 'শুদ্ধি অভিযানে'র জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান বিএনপির এই নেতা। তিনি বলেন, 'এখন আপনার সাবেক ও বর্তমান মন্ত্রী, সাবেক ও বর্তমান এমপিদের সম্পদের হিসাব মানুষের কাছে উপস্থাপন করুন।'সংগঠনের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাতের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাদেক খানের পরিচালনায় আলোচনা সভায় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ্‌ চৌধুরী, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, বিএনপির শওকত মাহমুদ, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, শিরিন সুলতানা প্রমুখ নেতা বক্তব্য দেন।
মওদুদ আহমদ, রাজনীতি
মা বিয়েতে রাজি না হওয়ায় শিশুপুত্রকে অপহরণ
প্রকাশ: ০৪ অক্টোবর ২০১৯ | ০৮:২৮
পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ায় তামজিদ নামের চার বছরের এক শিশুকে অপহরণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। শিশুটিকে বৃহস্পতিবার দুপুরে স্থানীয় একটি পূজামণ্ডপের কাছ থেকে অপহরণ করা হয়।সে উপজেলার দক্ষিণ শিয়ালকাঠি মহল্লার জয়নাল মাতুব্বর ও তমা বেগমের ছেলে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার ভাণ্ডারিয়া থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।অপহৃত শিশুটির মা তমা বেগম জানান, স্বামী তাকে ফেলে যাওয়ার পর থেকে ছেলেকে নিয়ে তিনি উপজেলার দক্ষিণ শিয়ালকাঠি মহল্লায় বাবার বাড়িতে বসবাস করতেন। বৃহস্পতিবার সকালে জাহাঙ্গীর আকন নামের এক ব্যক্তি স্থানীয় ঘটক শাহজাহান শরীফকে নিয়ে তার বাড়িতে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে যায়। বিয়েতে রাজি না হওয়ায় জাহাঙ্গীর আকন কৌশলে তার ছেলেকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। শিশুটি দুপুরে পঞ্চম শ্রেণি পড়ুয়া তার খালাতো ভাই তাওহীদের সঙ্গে অশোক স্বর্ণকারের বাড়িতে পূজা দেখতে গিয়েছিল। রাতে জাহাঙ্গীর আকন মোবাইল ফোনে তমা বেগমকে জানায়, চট্টগ্রাম গিয়ে তাকে বিয়ে করলে ছেলেকে ফেরত পাবে। জাহাঙ্গীর আকনের বাড়ি বরগুনার বেতাগী উপজেলায়।ভাণ্ডারিয়া থানার ওসি এসএম মাকসুদুর রহমান বলেন, এ ব্যাপারে শিশুটির মা শুক্রবার ভাণ্ডারিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
পিরোজপুর
দোয়ারাবাজারে বিএসএফের গুলিতে যুবক নিহত
প্রকাশ: ০৪ অক্টোবর ২০১৯ | ০৮:৪১
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে কামরুল ইসলাম নামে এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন। তিনি উপজেলার রগারপাড় গ্রামের আসক আলীর ছেলে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নরসিংপুর ইউনিয়নের সোনালি চেলা সীমান্তের ভারতের অভ্যন্তরে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কালারটেক পাথরঘাট বিএসএফ ক্যাম্পের পাশ দিয়ে গরু নিয়ে আসছিলেন কামরুলসহ স্থানীয় কয়েক যুবক। এ সময় বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালালে কামরুল ঘটনাস্থলেই নিহত হন। অন্যরা দৌড়ে বাংলাদেশে অভ্যন্তরে প্রবেশ করে। বিজিবি ৪৮ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আহমেদ ইউসুফ জামিল বলেন, সোনালি চেলা সীমান্তে ভারতের অভ্যন্তরে এক যুবক নিহতের ঘটনা শুনেছেন। তার লাশ আনার বিষয়ে বিএসএফের সঙ্গে আলোচনা চলছে। থানার ওসি মো. আবুল হাসেম বলেন, সীমান্তের ওপারে এক যুবক নিহত হওয়ার খবর পেয়েছেন। তবে কীভাবে তিনি মারা গেছে, তা এখনও নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। লাশ পেয়ে ময়নাতদন্ত করার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
সুনামগঞ্জ, বিএসএফ, ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী
খুলনা থেকে ৪ রুটে বাস বন্ধ
প্রকাশ: ০৪ অক্টোবর ২০১৯ | ০৮:৪৩
অবৈধ গাড়ি চলাচল বন্ধ ও বাস মালিককে মারধরের প্রতিবাদে খুলনা থেকে গোপালগঞ্জসহ চারটি রুটে বাস বন্ধ করে দিয়েছে রূপসা-বাগেরহাট বাস মিনিবাস মালিক সমিতি।শুক্রবার সকালে খুলনার সোনাডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড থেকে খুলনা-গোপালগঞ্জ, খুলনা-বরিশাল, খুলনা-মাদারীপুর এবং টেকেরহাট-মোকসেদপুর রুটের বাস চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। এতে ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা।রূপসা-বাগেরহাট বাস মিনিবাস মালিক সমিতির সদস্য খান কামরুজ্জামান জানান, এ সমিতি ও খুলনা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের কয়েকজন প্রভাবশালী নেতা জোরপূর্বক এসব রুটে অবৈধভাবে কিছু বাস চলাচলের অনুমতি দিয়েছে। এতে সাধারণ মালিকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এর প্রতিবাদ করলে শুক্রবার সকালে গোপালগঞ্জের ঘোনাপাড়ায় বাস মালিক মো. হায়দারকে মারধর করে প্রতিপক্ষ। এ ঘটনার প্রতিবাদে এসব রুটে বাস চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।সাধারণ বাস মালিকরা জানিয়েছেন, এসব রুটে অবৈধ গাড়ি চলাচল বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত বাস চলাচল বন্ধ থাকবে।তবে রূপসা-বাগেরহাট বাস মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি নুরুল হক লিপন বলেন, এই রুটগুলোতে অবৈধ বাস চলাচল বন্ধের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এছাড়া বাস মালিককে মারধরের ঘটনাটি মীমাংসার চেষ্টা চলছে।
বাস চলাচল বন্ধ, বাস ধর্মঘট, খুলনায় বাস ধর্মঘট
দুবাইয়ে যেভাবে গ্রেফতার হলো শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসান
প্রকাশ: ০৪ অক্টোবর ২০১৯ | ০৮:৪৫
বাংলাদেশ পুলিশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসান আহমেদ সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে পালিয়ে আছে- এমন খবর অনেক বছর ধরেই শোনা যাচ্ছিল। এর মধ্যে কয়েক মাস আগে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কর্মকর্তারা তাকে আইনের আওতায় আনতে নতুন করে তৎপরতা শুরু করেন। মাস দুয়েক আগে দুবাইয়ের ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরো (এনসিবি) তার অবস্থান শনাক্ত করে বাংলাদেশকে জানায়। তখন থেকেই সেখানে তাকে নজরদারিতে রাখা হয়। তবে দুবাইয়ে সে আলী আকবর চৌধুরী নামে পরিচিত ছিল। পাসপোর্টও ছিল সেই নামে। এনসিবি ঢাকা ও দুবাই তথ্য আদান-প্রদানের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা চালায় নজরদারিতে থাকা ব্যক্তিই সন্ত্রাসী জিসান কি-না। সব তথ্য ঠিকঠাক মিলে যাওয়ার পর বুধবার রাতে তাকে গ্রেফতার করে সেখানকার পুলিশ। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ পুলিশ তার গ্রেফতারের বিষয়ে নিশ্চিত হয়।২০০৩ সালের ১৪ মে ঢাকার মালিবাগের একটি হোটেলে ডিবির দুই কর্মকর্তাকে গুলি করে হত্যাসহ অসংখ্য হত্যা-চাঁদাবাজি-টেন্ডারবাজির ঘটনায় অভিযুক্ত জিসান। ২০০১ সালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের করা ২৩ শীর্ষ সন্ত্রাসীর তালিকায় ছিল তার নাম। প্রায় ১৬ বছর ধরে পলাতক এই সন্ত্রাসীর নামে ইন্টারপোলে রেড নোটিশও জারি ছিল। সেখানে তার বিরুদ্ধে হত্যা ও বিস্ফোরক বহনের অভিযোগের কথা উল্লেখ ছিল। দীর্ঘদিনের চেষ্টায় গ্রেফতারের পর এখন তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া চলছে।পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক (এনসিবি) মহিউল ইসলাম সমকালকে বলেন, দেশটির সঙ্গে বহিঃসমর্পণ চুক্তি না থাকলেও জিসানকে ফিরিয়ে আনা কঠিন হবে না। তবে এ জন্য কিছু প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে। মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আইনি চুক্তি করতে হবে। তাছাড়া দুবাই থেকে কিছু তথ্য যাচাই করতে বলা হয়েছে। নতুন করে কিছু বিষয়ও তারা জানতে চেয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব এসব প্রক্রিয়া শেষ করার চেষ্টা চালাবে পুলিশ।সংশ্নিষ্টরা জানান, রাজধানীর মতিঝিল, মালিবাগ, বাড্ডা, গুলশান, বনানীসহ বিভিন্ন এলাকায় একসময় ত্রাস হিসেবে পরিচিত ছিল জিসান ওরফে মন্টি। দুই ডিবি কর্মকর্তা হত্যার পর সে প্রথমে ভারতে পালিয়ে যায়। পরে সেখান থেকে দুবাই চলে যায় বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়। সেখানে বসেই সে ঢাকার অপরাধ জগৎ নিয়ন্ত্রণ করে আসছিল। তার নামে চাঁদাবাজি করে আসছিল সহযোগীরা। মাঝেমধ্যেই বিদেশের ফোন নম্বর থেকে কল করে জিসান পরিচয়ে ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষের কাছে চাঁদা দাবি করা হতো। আর চাঁদা না পেলে গুলি করা বা ককটেল হামলার ঘটনাও অনেকবার ঘটেছে। সম্প্রতি ক্যাসিনোকাণ্ডে যুবলীগ নেতা খালেদ মাহমুদ ভূঁঁইয়া ও ঠিকাদার জি কে শামীম গ্রেফতার হওয়ার পর নতুন করে আলোচনায় আসে জিসান। ওই দু'জনকে জিজ্ঞাসাবাদে জিসানের দুবাইয়ে অবস্থানের ব্যাপারে অনেকটাই নিশ্চিত হয় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।পুলিশ সদর দপ্তরের গণমাধ্যম ও জনসংযোগ শাখার সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) সোহেল রানা বলেন, পুলিশ সদর দপ্তরের এনসিবি শাখার উদ্যোগে ও এনসিবি দুবাইয়ের সহযোগিতায় শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এনসিবি দুবাই বৃহস্পতিবার বিষয়টি নিশ্চিত করে। তাকে সেখানে বিচারিক হেফাজতে রাখা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাকে দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনা হবে।পুলিশ সদর দপ্তর সূত্র জানায়, জিসান ও তার ভাই দুবাইয়ে অবস্থান করে নানারকম অপকর্ম চালিয়ে আসছে বলে তথ্য ছিল ডিবির কাছে। দুই মাস আগে ডিবির মাধ্যমে পাওয়া জিসানের সাম্প্রতিক ছবি, হালনাগাদ তথ্য ও কয়েকটি ফোন নম্বর দুবাই এনসিবি কর্মকর্তাদের দেওয়া হয়। সম্প্রতি তার দুই সহযোগীকে গ্রেফতারের তথ্যও তাদের জানানো হয়। সেগুলো যাচাই করে তারা জিসানকে নজরদারিতে রেখে জানায়, নাম মিলছে না এবং তার পাসপোর্টও বাংলাদেশের নয়। পরে দেখা যায়, জিসান ভিন্ন নামে 'ভারতের পাসপোর্ট' ব্যবহার করে সেখানে অবস্থান করছে। এই পাসপোর্টের ব্যাপারে তথ্য অনুসন্ধানের মধ্যেই দুবাই জানায়, তার পাসপোর্টটি ডমিনিকান রিপাবলিকের। দেশটির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা নিশ্চিত করে, এমন কোনো পাসপোর্ট তারা ইস্যু করেনি। এসব তথ্য দুবাই এনসিবিকে জানানো হয়। তাদের পরামর্শ অনুযায়ী ইন্টারপোলের রেড নোটিশটিও হালনাগাদ করা হয়। যুক্ত করা হয় নতুন করে পাওয়া তথ্য। শেষে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।পুলিশ সদর দপ্তরের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা জানান, দুবাই এনসিবির সব শর্ত পূরণের পর তারা জিসানকে ফেরত দেবে। এ ক্ষেত্রে তারা জিসানকে বাংলাদেশগামী বিমানে তুলে দেবে। ঢাকায় নামার পরপরই তাকে গ্রেফতার করবে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। প্রাথমিকভাবে এমন আলোচনা হয়েছে। তবে প্রয়োজনে বাংলাদেশের পুলিশ গিয়ে দুবাই থেকেও তাকে নিয়ে আসতে পারে।
যুবলীগ, শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসান
দেশের অর্থনীতিতে প্রবাসীরা অনবদ্য অবদান রাখছেন: প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রী
প্রকাশ: ০৪ অক্টোবর ২০১৯ | ০৮:৪৬
প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ বলেছেন, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে প্রবাসীরা অনবদ্য অবদান রেখে চলেছেন। তাদের পাঠানো রেমিট্যান্সে দেশের অর্থনীতির ভিত মজবুত ও শক্তিশালী হচ্ছে। তিনি বলেন, একটি উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি আশাব্যঞ্জক। বৃহস্পতিবার রাতে নগরীর একটি অভিজাত হোটেলে 'ম্যানচেস্টার কামস টু সিলেট' শীর্ষক নেটওয়ার্কিং সংবর্ধনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ব্রিটেনের গ্রেটার ম্যানচেস্টারের মেয়র এনডি বার্নহামের সভাপতিত্বে ও ওল্ডহাম কাউন্সিলের ডেপুটি লিডার আব্দুল জব্বার এমবিইর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সিলেটের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, সি মার্ক গ্রুপের চিফ এপিকিউটিভ ইকবাল আহমদ ওবিই এবং ইউনিভার্সিটি অব ম্যানচেস্টারের গ্লোবাল ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডেভিড হাম। স্বাগত বক্তব্য দেন মিডাসের পরিচালক ডেনিয়েল স্টোরার। মন্ত্রী বলেন, ৩০ বছর আগের বাংলাদেশ আর বর্তমানের বাংলাদেশ এক নয়। কারি এবং কেটারিং ইন্ডাস্ট্রির জন্য আমরা দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলছি। শিক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি সিলেটে ম্যানচেস্টার ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাস গড়ে তুলতে প্রতিনিধি দলের প্রতি আহ্বান জানান। সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধু হাইটেক পার্কে প্রবাসীদের বিনিয়োগেরও আহ্বান জানান মন্ত্রী। মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী সিলেট ও ম্যানচেস্টার সিটির মধ্যে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সাংস্কৃতিক ও অবকাঠামোগত অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার ওপর জোর দেন। সভাপতির বক্তব্যে গ্রেটার ম্যানচেস্টারের মেয়র এনডি বার্নহাম বলেন, এ সফর ঐতিহাসিক। দুই সিটির মধ্যে ইতিহাসগত অনেক মিল রয়েছে। ব্রিটেনের অর্থনীতিতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের অবদানের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সিলেট ও ম্যানচেস্টার সিটি ওয়াস্ট ম্যানেজমেন্ট এবং রি-সাইক্লিং নিয়ে একত্রে কাজ করতে পারে। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে সিলেট-২ আসনের এমপি মোকাব্বির খান, পুলিশের সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি কামরুল আহসান, সিলেট মহানগর পুলিশ কমিশনার গোলাম কিবরিয়া, অতিরিক্ত কমিশনার পরিতোষ ঘোষ, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এমাদ উল্লাহ শহিদুল ইসলাম, সিলেট প্রেস ক্লাবের সভাপতি ইকরামুল কবির, সাবেক সভাপতি ইকবাল সিদ্দিকী, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মাহিউদ্দিন আহমদ সেলিম, সিলেট চেম্বারের সিনিয়র সহসভাপতি চন্দন সাহা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী, ইমরান আহমদ , সিলেট
লালপুরে আরও ২ গ্রাম প্লাবিত, পানিবন্দি ৫ হাজার মানুষ
প্রকাশ: ০৪ অক্টোবর ২০১৯ | ০৮:৫২
নাটোরের লালপুরের দুরদুরিয়া ইউনিয়নের রামপাড়া ও রাধাকান্তপুর গ্রাম নতুন করে বন্যাকবলিত হয়েছে। এদিকে লালপুরের চর এলাকায় পানিবন্দি মানুষের জন্য তিনটি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হলেও তারা সেখানে যেতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। তবে গবাদিপশু নিয়ে দুই-তিনটি পরিবার চরজাজিরা প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের পাশে অবস্থান নিয়েছে। চলমান বন্যায় লালপুর উপজেলার চারটি ইউনিয়নে ৫ হাজার মানুষ বন্যাকবলিত রয়েছে। আখসহ প্রায় ৬ হাজার হেক্টর জমির বিভিন্ন ফসল বিনষ্ট হয়েছে।লালপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ইসাহাক আলী জানান, দুরদুরিয়া ইউনিয়নের রামপাড়া ও রাধাকান্তপুর গ্রাম নতুন করে প্লাবিত হওয়ায় কয়েক বিঘা জমির শীতকালীন সবজিসহ আখের জমি জলমগ্ন হয়েছে। বেশ কিছু বাড়িঘরে পানি প্রবেশ করেছে। এ নিয়ে উপজেলার চারটি ইউনিয়নের ১৮টি চরসহ কয়েকশ' বাড়িঘর প্লাবিত হয়েছে। তিনি বলেন, এই উপজেলার ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারসহ ফসলি জমির তালিকা নিরূপণ করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে বানভাসিদের মধ্যে ত্রাণ সহায়তা দেওয়া শুরু হয়েছে।নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল কাদের বলেন, পানিতে নিমজ্জিত তিনশ' হেক্টর জমির আখ সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গেছে। এছাড়া আরও সাড়ে তিন হাজার একর জমির আখ পানিতে নিমজ্জিত। পানি সরে যাওয়ার পর বলা যাবে আখের কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া বৃহস্পতিবার রাতে দুরদুরিয়া ইউনিয়নে নতুন করে পানি প্রবেশ করায় আখের আরও জমি জলমগ্ন হয়েছে। এতে করে আসছে আখ মাড়াই মৌসুমে আখস্বল্পতার কারণে চিনি উৎপাদন কমে যেতে পারে বলে তিনি জানান।উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, বন্যায় এবার লালপুর উপজেলার বিলমাড়িয়া, লালপুর ও ঈশ্বরদী ইউনিয়নের চর এলাকায় দুই হাজার ৩৪৮ হেক্টর জমির পাট ও শীতকালীন সবজি সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গেছে। এছাড়া কৃষি বিভাগের তত্ত্বাবধানে চর এলাকায় রোপণ করা কয়েকশ' হেক্টর জমির আখ পানিতে তলিয়ে গেছে। লালপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মুল বানিন দ্যুতি জানান, ক্ষতিগ্রস্ত ১২শ' মানুষের মধ্যে বৃহস্পতি ও শুক্রবার ৮ হাজার টন চাল বিতরণ করা হয়েছে।রাজশাহীতে কমতে শুরু করেছে পদ্মার পানি : রাজশাহী ব্যুরো জানায়, পদ্মার পানি কিছুটা কমতে শুরু করেছে। তবে প্রবল স্রোতে এখনও হুমকির মুখে রয়েছে শহররক্ষা 'টি' বাঁধ। গতকাল সকাল ৬টায় রাজশাহী পয়েন্টে পদ্মায় পানির উচ্চতা ছিল ১৮ দশমিক ১৮ মিটার। বিকেল ৩টায় এক সেন্টিমিটার কমে হয় ১৮ দশমিক ১৭ মিটার। পানির উচ্চতা কিছুটা কমলেও ভারত থেকে প্রবল বেগে ধেঁয়ে আসছে পানি। তাই শহররক্ষা 'টি' বাঁধসহ পুলিশ লাইনের সামনের বুলনপুর, শ্রীরামপুর এলাকার শহররক্ষা বাঁধ ঝুঁকির মধ্যেই রয়েছে। এদিকে রাজশাহীর পবা, চারঘাট, বাঘা ও গোদাগাড়ী উপজেলার চরাঞ্চলের পানিবন্দি মানুষ নিরাপদ স্থানে সরে যাচ্ছেন। তারা শহররক্ষা বাঁধ, স্কুল ও উঁচু রাস্তায় আশ্রয় নিয়েছেন। সরকারি ও বেসরকারিভাবে তাদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ চলছে।
নাটোর, বন্যা
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাল্যবিয়ে করতে এসে কারাগারে বর
প্রকাশ: ০৪ অক্টোবর ২০১৯ | ০৮:৫৩
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাল্যবিয়ে করতে এসে কারাগারে গেলেন দ্বীন ইসলাম (২৫) নামে এক যুবক। শুক্রবার দুপুরে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পঙ্কজ বড়ূয়া বিয়েবাড়িতে উপস্থিত হয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে বাল্যবিয়ে বন্ধ করে দেন এবং বর দ্বীন ইসলামকে এক মাসের কারাদণ্ড দেন।ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার দুপুরে সদর উপজেলার নাটাই (উত্তর) ইউনিয়নের ভাটপাড়া গ্রামের পশ্চিমপাড়ার ১৩ বছরের শিশু ও স্থানীয় একটি মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীর সঙ্গে একই এলাকার আমিনুল ইসলামের ছেলে দ্বীন ইসলামের বিয়ে হওয়ার কথা ছিল।খবর পেয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পঙ্কজ বড়ূয়া বিয়েবাড়িতে উপস্থিত হয়ে বাল্যবিয়ে বন্ধ করে দেন ও বর দ্বীন ইসলামকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন। পরে তিনি কনে প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দেবে না মর্মে তার পরিবারের কাছ থেকে মুচলেকা আদায় করেন।এ ব্যাপারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পঙ্কজ বড়ূয়া বলেন, বাল্যবিয়ের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
বাল্যবিয়ে, কারাগারে বর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
শুদ্ধি অভিযান আপন ঘর থেকেই শুরু হয়েছে: ওবায়দুল কাদের
প্রকাশ: ০৪ অক্টোবর ২০১৯ | ০৯:০৩ | আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০১৯ | ০৯:১৪
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, চলমান দুর্নীতিবিরোধী অভিযান কোনো ব্যক্তি, গোষ্ঠী বা দলের বিরুদ্ধে নয়, এ অভিযান অপরাধী এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে। দুর্বৃত্তায়ন চক্র ভাঙতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ উদ্যোগ নিয়েছেন এবং এই শুদ্ধি অভিযান শুরু করেছেন আপন ঘর থেকে।শুক্রবার সকালে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার খাড়াজোড়া এলাকায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের চার লেন প্রকল্পের উন্নয়ন কাজ পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী এ ব্যাপারে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও র‌্যাবকে পরিষ্কার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি দিল্লি যাওয়ার আগেও বলে গিয়েছেন, এই শুদ্ধি অভিযান কোনো অবস্থায়ই শিথিল হবে না। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে। দুর্বৃত্তায়নের চক্র ভেঙে দিতে প্রধানমন্ত্রী বদ্ধপরিকর। সড়ক পরিবহন মন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়া যদি জামিন পান এবং চিকিৎসকদের পরামর্শে চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাওয়ার মতো অবস্থায় থাকেন, সেটা তখন বিবেচনা করা যাবে। তবে বিএনপি যা দাবি করছে, তার সঙ্গে চিকিৎসকদের রিপোর্টের সঙ্গতি নেই। তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার বয়স হয়েছে। এমন নয় যে, এই বয়সে তার শরীর পুরোপুরি সুস্থ-সবল থাকবে। তার জন্য চিকিৎসকদের একটি টিম আছে এবং একটি বোর্ডও আছে। এখানে বিষয়টির যেমন মানবিক দিক রয়েছে, তেমনি আইনগত দিকও রয়েছে। কিন্তু আইনগত দিকটি সরকারের হাতে নেই। এ সময় সেতুমন্ত্রীর সঙ্গে আরও ছিলেন সড়ক ও জনপথের ঢাকা বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সবুজ উদ্দিন খান, গাজীপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাইফুদ্দিন, জেলা পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার, কালিয়াকৈর থানার ওসি আলমগীর হোসেন মজুমদার, সালনা (কোনাবাড়ী) হাইওয়ে থানার ওসি মজিবুর রহমান এবং সড়ক ও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
ওবায়দুল কাদের, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী, দুর্নীতিবিরোধী অভিযান
দেশকে বাঁচাতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে: ড. কামাল হোসেন
প্রকাশ: ০৪ অক্টোবর ২০১৯ | ০৯:২০ | আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০১৯ | ০৯:১৩
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন, সারাদেশ দুর্নীতিতে ভরে গেছে। অর্থনীতি ধ্বংস হচ্ছে। দ্রব্যমূল্য ক্রমাগত বাড়ছে, ব্যাংকিং খাত শেষ, ধর্ষণ-হত্যা অহরহ ঘটছে, আইনের শাসন অনুপস্থিত। এ অবস্থা থেকে দেশকে বাঁচাতে হবে। আর সেজন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এ সরকারকে প্রত্যাখ্যান করতে হবে।শুক্রবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত আলোচনা সভায় ড. কামাল হোসেন এসব কথা বলেন। জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) উদ্যোগে 'বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে জাতীয় সরকারের অপরিহার্যতা' শীর্ষক এ সভা হয়। সভায় ক্যাসিনো-জুয়া নিয়ে দোষারোপের রাজনীতির কঠোর সমালোচনা করে ড. কামাল বলেন, ১০ বছর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থেকে যা করেছে, সেই সবের ক্রেডিটও তারা বিএনপিকে দিতে চায়। তিনি বলেন, আমি তো বিএনপির সমর্থক না। আমিও তাদের সমালোচনা করেছি। বিএনপি অনেক কিছুই করতে পারে। কিন্তু দশ বছর তারা ক্ষমতায় নেই। এই সময় যা হয়েছে, সেসবও তারা করেছে- এমন অভিযোগ গ্রহণযোগ্য নয়।গণফোরাম সভাপতি বলেন, যাদের দেশপ্রেম আছে, দেশের প্রতি আস্থা আছে, তারা বিদেশে টাকা পাচার করে না। এগুলোর তদন্ত হওয়া দরকার। সরকারের যদি অনুমতি না থাকে, তা হলে হাতেগোনা কিছু লোক এভাবে বাইরে টাকা পাঠাতে পারে না।জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেন, এখন ক্যাসিনো নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে, হৈচৈ হচ্ছে। কিন্তু সবচেয়ে বড় ক্যাসিনো হয়ে গেছে ২৯ ডিসেম্বর রাতে। সেই রাতের ক্যাসিনোতে গোটা জাতিকে হারিয়ে দিয়ে এ সরকার সাংবিধানিক-গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে উচ্ছেদ করেছে। জনগণকে রাষ্ট্র পরিচালনায় অংশগ্রহণের সাংবিধানিক ভিত্তি থেকে ছুড়ে ফেলেছে। ভোটাধিকার হরণ করেছে। এ সময় জাতীয় সরকারের পাঁচ দফা রূপরেখা ও করণীয় উপস্থাপন করেন।নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, সরকার শুদ্ধি অভিযান সফল করতে পারবে না। একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউনিট ছাত্রলীগের সভাপতি এক কোটি টাকার ওপর কমিশন পেয়েছে- এর কোনো মামলা হয়নি। ভাইস-চ্যান্সেলর কত টাকা পেয়েছে- এর কোনো তদন্ত হয়নি, মামলা হয়নি। যুবলীগের একটি দুটি ধরছে- বাকিগুলো ধরতে গেলে যুবলীগই থাকবে না। আলোচনা সভায় আরও বক্তৃতা দেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মনিরুল হক চৌধুরী, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক প্রমুখ।
ড. কামাল হোসেন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট
দক্ষিণ এশিয়ার সংযোগ ও সৌহার্দ্যের জন্য প্রধানমন্ত্রীর ৪ দফা প্রস্তাব
প্রকাশ: ০৪ অক্টোবর ২০১৯ | ০৯:২১ | আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০১৯ | ১৩:৪১
দক্ষিণ এশিয়ার বিদ্যমান ভূ-রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনায় ৪ দফা প্রস্তাব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মাধ্যমে সংঘবদ্ধ, বন্ধত্বপূর্ণ ও প্রতিযোগিমূলক অঞ্চল হিসেবে পারস্পরিক বৈশ্বিক কল্যাণে অন্যান্য অঞ্চলের সঙ্গে দক্ষিণ এশিয়ার যোগাযোগ প্রতিষ্ঠিত হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।শুক্রবার এখানে হোটেল তাজ প্যালেসে ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরামের ইন্ডিয়া ইকোনোমিক সামিটের সমাপনী অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী এই চার প্রস্তাব দেন। খবর বাসসেরতিনি বলেন, 'বিগত কয়েক দশকে আমরা অনেক মহৎ আঞ্চলিক বিভিন্ন ধারণা ও উদ্যোগ দেখেছি। এগুলোর মধ্যে কিছু সফল হলেও অন্যগুলো সফল হয়নি। আগামী কয়েক দশকের দিকে দৃষ্টি রাখলে আমি মনে করি যে এক্ষেত্রে আমাদের কিছু নীতিমালা মেনে চলা উচিত হবে।'শেখ হাসিনা বলেন, 'আমি বলতে চাই– একটি সংযুক্ত, বন্ধুত্বপূর্ণ ও প্রতিযোগিতাপূর্ণ অঞ্চল হওয়ায় দক্ষিণ এশিয়া অন্য অঞ্চলের সাথে সেতুবন্ধ গড়ে তুলতে সর্বদা প্রস্তুত রয়েছে।'প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'বিগত দশকগুলোতে আমরা অনেক উচ্চাকাঙ্ক্ষী চিন্তা-ভাবনা ও উদ্যোগ দেখেছি। এর কিছু সফল হয়েছে, অন্যগুলো বাস্তবতায় আসেনি। আমার দৃষ্টিতে আগামী দশকগুলোর জন্য নিম্নোক্ত চিন্তা-ভাবনা অনুসরণ করা প্রয়োজন।'তিনি বলেন, 'প্রথমত, আমাদের সমাজের প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য শান্তি, স্থিতিশীলতা ও সৌহার্দ্য নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রয়াস চালিয়ে যেতে হবে। সংখ্যাগুরু ও সংখ্যালঘুর মানসিকতা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। যুগ যুগ ধরে বহুত্ববাদ হচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ার শক্তি। এর মাধ্যমে আমরা ধর্ম, জাতি ও ভাষাগতভাবে দক্ষিণ এশিয়ার বৈচিত্র্যের উদযাপন করতে পারে। এটি হচ্ছে মৌলিক বিষয়।'দ্বিতীয় প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'দ্রুত প্রবৃদ্ধির সময়ে সমাজে যেন বৈষম্য আরো বেড়ে না যায় তা আমাদের নিশ্চিত করতে হবে। সম্পদ হতে হবে অন্তর্ভুক্তমূলক এবং তা তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত পৌঁছতে হবে।'তিনি বলেন, স্বল্পোন্নত সম্প্রদায় বা দেশ পেছনে পড়ে থাকবে না। আমাদের যুবকদের আকাঙ্ক্ষা ও চাহিদা অবশ্যই বিবেচনায় নিতে হবে। দক্ষিণ এশিয়ায় আমাদের জ্ঞান, অভিজ্ঞতা, দক্ষতা ও বিনিয়োগের মাধ্যমে অন্যদের হাত ধরতে হবে।এছাড়া সম্প্রদায় ও দেশসমূহের মধ্যে পারস্পরিক আস্থা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধা হচ্ছে চাবিকাঠি– একথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, 'আমাদের ভ্রান্ত ধারণা থেকে ঊর্ধ্বে উঠতে হবে।'প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রবর্তিত ‘সবার সাথে বন্ধুত্ব কারো সাথে বৈরিতা নয়’ এই নীতি অনুসরণ করে বাংলাদেশ বিশ্ব পরিমণ্ডলে শান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠায় অব্যাহত অবদান রেখে চলছে। এই দৃষ্টিভঙ্গি বাংলাদেশকে সকল দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে সহায়তা করছে।তিনি বলেন, '১৯৯৬ সালে আমরা ভারতের সঙ্গে গঙ্গা নদীর পানি বণ্টনের সমাধান করেছি। আমরা সৌহার্দ্যপূর্ণভাবে ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্র সীমানা নির্ধারণ করেছি। বাংলাদেশ এখন ভারতের সঙ্গে আন্তঃনদী নাব্যতা উন্নয়নে কাজ করছে। আমরা ভারত থেকে ইন্টার গ্রিড সংযোগের মাধ্যমে বিদ্যুৎ কিনছি। আমাদের রাজনীতি, অর্থনীতি ও সমাজের জন্য এ ধরনের সহযোগিতাপূর্ণ সংস্কৃতি প্রয়োজন। অপরদিকে আমাদের বেসরকারি খাত স্বচ্ছ ও ন্যায্যতার ভিত্তিতে পরস্পরের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করছে।'চতুর্থ প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আমরা অবশ্যই বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার মাধ্যমে আমাদের ভূ-রাজনৈতিক বাস্তবতা নিয়ন্ত্রণ করবো। আমাদের জনগণের স্বার্থে ভারসাম্যপূর্ণ আঞ্চলিক বাস্তবতার আমরা প্রশংসা করবো। আমরা স্বল্প মেয়াদি লাভের জন্য দীর্ঘ মেয়াদি স্বার্থ বন্ধ করে দিতে পারি না।'তিনি বলেন, '১৯৭১ সালে আমার বাবা আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙ্গালির মুক্তি স্বাধীনতার পক্ষে দাঁড়াতে তাদের প্রতি জোরালো আহ্বান জানান। বঙ্গবন্ধু জনগণের ক্ষমতায় বিশ্বাস করতেন এবং তাদেরকে ভালবাসতেন। তিনি উপলব্ধি করেছিলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন বজায় রাখতে হলে তাদের প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে যোগাযোগ রাখতে হবে।'প্রধানমন্ত্রী বলেন, '১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ফিরে এসে তিনি (বঙ্গবন্ধু) কোলকাতায় ঘোষণা দেন– প্রতিবেশী দেশগুলোর পাশাপাশি দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় এবং আমাদের জনগণের স্বার্থে গঠনমূলক নীতিমালা প্রণয়নে আমরা সহযোগিতা করবো। বঙ্গবন্ধুর দূরদর্শীপূর্ণ চিন্তা-ভাবনায় অনুপ্রাণিত হয়ে আমরা বিমসটেক, সার্ক, বিবিআইএন ও বিসিআইএমের মতো আঞ্চলিক সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছি।'ডব্লিউইএফ সভাপতি বোর্জে ব্রেন্ডে’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্যানেলিস্ট ছিলেন সিঙ্গাপুরের উপ-প্রধানমন্ত্রী হেং সোয়ি কিট, সেকুইয়া ক্যাপিটাল ইন্ডিয়ার ব্যবস্থাপনা পরিচালক শৈলেন্দ্র সিং, এ্যাপোলো হসপিটাল এন্টারপ্রাইজের নির্বাহী সহ-সভাপতি শোবানা কারমিনেনি ও বুকিং ডট কম-এর চেয়ারওমেন জিলিয়ান টানস।সঞ্চালকের এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও অন্যান্য অঞ্চলের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নয়নে সংযোগ প্রতিষ্ঠার ওপর অগ্রাধিকার দিচ্ছে।তার সরকার ১৯৬৫ সালের পরে বন্ধ হয়ে যাওয়া সংযোগগুলো পুনরায় চালু করার জন্য চেষ্টা করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'আমরা সবসময় এ নিয়ে চিন্তা করি। আমরা এ অঞ্চল এবং এর বাইরের অঞ্চলের মধ্যে সেতুবন্ধ প্রতিষ্ঠা করতে পারি।'বাংলাদেশ এশিয়ান হাইওয়ে ও এশিয়ান রেলওয়ে প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা পালন করছে বলেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।দারিদ্র্যকে এ অঞ্চলের অভিন্ন শত্রু অভিহিত করে তিনি বলেন, 'আমাদের, এ অঞ্চলের সকল দেশের এই হুমকির বিরুদ্ধে একযোগে লড়াই করা উচিত। আমাদের এটি করার সামর্থ্য রয়েছে এবং আমরা নিশ্চই এটি করবো।'এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু এ অঞ্চলের সমৃদ্ধির জন্য সংযোগ বৃদ্ধির গুরুত্ব অনুধাবন করেছিলেন।রোহিঙ্গা ইস্যু প্রশ্নে শেখ হাসিনা বলেন, বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের জন্য বোঝা হয়ে দেখা দিয়েছে।সিঙ্গাপুরের উপ-প্রধানমন্ত্রী দারিদ্র্য বিমোচন ও সহযোগিতা বিনিময়ের মাধ্যমে এ অঞ্চলকে আরো শক্তিশালী করার জন্য একযোগে কাজ করতে শেখ হাসিনার ধারণার প্রশংসা করেন।
প্রধানমন্ত্রী, শেখ হাসিনা, প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর, ইন্ডিয়া ইকোনমিক সামিট
সরকারের পায়ের নিচে মাটি নেই: খন্দকার মাহবুব
প্রকাশ: ০৪ অক্টোবর ২০১৯ | ০৯:৪৭ | আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০১৯ | ০৯:৫০
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেছেন, সরকারকে ভয় করার কিছু নেই, তাদের পায়ের নিচে মাটি নেই। তারা দোদুল্যমান অবস্থায় আছে। যে কোনো মুহূর্তে ধাক্কা দিলেই তাদের পতন হবে।শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে প্রতীকী অবস্থান কর্মসূচিতে তিনি এ কথা বলেন। নাগরিক অধিকার আন্দোলন ফোরামের আয়োজনে 'বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সুচিকিৎসার দাবিতে' এ কর্মসূচির পালন করা হয়।সরকারের উদ্দেশে খন্দকার মাহবুব বলেন, 'আদালত আর বিচার বিভাগ নিয়ে খেলতে যাবেন না। বিচারকরা আর আপনাদের খেলার সঙ্গী হবেন না। উচ্চ আদালতে বিচার যদি থাকে, সংবিধান অনুযায়ী বিচার যদি করতে পারে, তাহলে আদালতের অস্তিত্ব থাকবে। তা না হলে অস্তিত্ব থাকবে না।'আইনি প্রক্রিয়ায় খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, 'সংবিধানে হাইকোর্টকে অধিকার দেওয়া হয়েছে। যদি আইনের শাসন না থাকে, তাহলে হাইকোর্টের অস্তিত্ব থাকে না। আমরা শপথ নিয়ে এসেছি, দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করব।'আয়োজক সংগঠনের সহসভাপতি মোহাম্মদ রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী, যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মদ রহমাতুল্লাহ প্রমুখ বক্তব্য দেন।
অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান
দুর্নীতিবিরোধী অভিযানে র‌্যাব নেতৃত্ব দিচ্ছে না: মহাপরিচালক
প্রকাশ: ০৪ অক্টোবর ২০১৯ | ০৯:৫৭ | আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০১৯ | ০৯:১৩
দুর্নীতিবিরোধী অভিযানে র‌্যাব নেতৃত্ব দিচ্ছে না, বরং অনেকগুলো সরকারি সংস্থার মধ্যে একটি হিসেবে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ। শুক্রবার রাজধানীর বনানী পূজামণ্ডপ পরিদর্শন শেষে র‌্যাব মহাপরিচালক সাংবাদিকদের এ কথা জানান। পাশাপাশি যুবলীগ নেতা ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের অবস্থান প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, 'আমরা ধৈর্য ধরি, সব কিছুরই উত্তর পাব।'এদিন সকালে বনানী পূজামণ্ডপের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শনে যান র‌্যাব প্রধান। এ সময় তিনি দুর্গাপূজা উপলক্ষে দেশজুড়ে সমন্বিত নিরাপত্তা এবং গুরুত্বপূর্ণ মণ্ডপে র‌্যাবের রোবস্ট পেট্রোলিং বা একসঙ্গে অনেক গাড়ি নিয়ে টহলের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানান।চলমান দুর্নীতিবিরোধী অভিযান প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দুর্নীতিবিরোধী কার্যক্রমে সরকারের যেসব প্রতিষ্ঠান রয়েছে, তাদের সঙ্গে আছে র‌্যাব। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে যখনই প্রয়োজন হবে, হাতে হাত মিলিয়ে র‌্যাব দায়িত্ব পালন করবে। দুর্নীতিবিরোধী এ অভিযানের উদ্যোগ সুদূরপ্রসারী। দেশের মানুষ প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম এর সুফল পাবে। সার্বিক উন্নয়নে এর প্রভাব পড়বে।এর আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছিলেন, ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানটি যেহেতু র‌্যাব শুরু করেছে, তাই তারাই অভিযান চালাবে।অভিযানে এখনও গ্রেফতার না হওয়া অপরাধীদের কোনো তালিকা র‌্যাব তৈরি করেছে কি-না? এমন প্রশ্নের জবাবে র‌্যাব মহাপরিচালক বলেন, শুদ্ধি অভিযানের বিষয়টি অনেক বড়। এর সঙ্গে শুধু র‌্যাব জড়িত নয়।'ক্যাসিনোর দায় পুলিশের একার নয়'- সাবেক ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়ার এই মন্তব্য প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বেনজীর আহমেদ বলেন, 'উনি এটা বলেছেন কি-না আমার জানা নেই। তবে একজন অভিজ্ঞ পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে তার এ ধরনের মন্তব্য করার কথা নয়।'দুর্গাপূজায় নেওয়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে তিনি বলেন, দেশে ৩১ হাজার ৮০০ মণ্ডপে পূজা হচ্ছে। ২০০৯ সালে ১১ হাজার মণ্ডপে পূজার আয়োজন হতো। এ থেকে বোঝা যায়, বর্তমানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা সুসংহত এবং বর্তমান সরকারের আমলে দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে। শান্তিপূর্ণভাবে পূজা উদযাপনের জন্য র‌্যাবের পক্ষ থেকে সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বোমা নিষ্ফ্ক্রিয়করণ ইউনিট ও ডগ স্কোয়াডের মাধ্যমে তল্লাশি করা হয়েছে। সন্ত্রাসী ও জঙ্গিরা যেন কোনো অপতৎপরতা চালাতে না পারে সে ব্যাপারে র‌্যাব তৎপর রয়েছে। পাড়া-মহল্লার মোড়ে চেকপোস্ট বসানো হবে, সন্দেহজনক এলাকায় ব্লক রেইড দেওয়া হবে। মণ্ডপে নারীরা যেন হয়রানির শিকার না হন সে বিষয়ে লক্ষ রাখবে র‌্যাব।
বেনজীর আহমেদ, র‌্যাবের মহাপরিচালক
কাপাসিয়ায় পানিতে ডুবে দুই সহোদরসহ তিন শিশুর মৃত্যু
প্রকাশ: ০৪ অক্টোবর ২০১৯ | ০৯:৫৯
গাজীপুরের কাপাসিয়ায় শুক্রবার সহোদর দুই বোনসহ পানিতে ডুবে তিন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। উপজেলার ঘাগটিয়া ইউনিয়নের খিরাটি দক্ষিণ-পূর্বপাড়ায় এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। জানা যায়, দুপুরে তিন শিশু বাড়িতে না জানিয়ে খিরাটি গ্রামের পাশ দিয়ে প্রবাহিত বানার নদীতে গোসল করতে যায়। তাদের বাড়ি থেকে তিনশ' গজ দূরে নদীতে নেমে গোসলের একপর্যায়ে তারা পানিতে তলিয়ে যায়। দীর্ঘ সময় বাড়ির লোকজন তাদের খুঁজে না পেয়ে বিকেলে ওই নদীতে গিয়ে এক শিশুর লাশ ভাসতে দেখে। পরে অনেক খোঁজাখুঁজি করে তারা বাকি দুই শিশুর লাশও নদী থেকে উদ্ধার করে। মৃত শিশুরা হলো- নানী বাড়ি বেড়াতে আসা নরসিংদী জেলার মনির হোসেনের মেয়ে হিমু (১০), ঘাগটিয়া দক্ষিণ-পূর্বপাড়ার মিলন মিয়ার মেয়ে সিনথিয়া (৯) ও সিনহা (৫)।কাপাসিয়া থানার ওসি রফিকুল ইসলাম জানান, শিশুদের অভিভাবকরা ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফনের আবেদন করায় আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
গাজীপুর, কাপাসিয়া, পানি
ভালোবাসার এ কেমন পরিণতি
প্রকাশ: ০৪ অক্টোবর ২০১৯ | ১০:৩৪
আত্মহত্যা করে ভালোবাসার সমাপ্তি টানলেন প্রেমিক সোহাগ আহম্মেদ (১৯)। অন্যদিকে হারপিক খেয়ে বাঁচা-মরার সন্ধিক্ষণে প্রেমিকা জাকিয়া ইসলাম জান্নাত (১৭)। ঘটনাটি নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার পৌর সদরের আনন্দনগর মহল্লার। নিহত সোহাগ আনন্দনগর এলাকার শফিকুল ইসলামের ছেলে এবং জাকিয়া ইসলাম জান্নাত খামারনাচকৈড় এলাকার জহুরুল ইসলামের মেয়ে।পরিবার সূত্রে জানা যায়, নিহত সোহাগ রাজশাহী পলিটেকনিকে ডিপ্লোমা দ্বিতীয় বর্ষে পড়াশোনা করত এবং জাকিয়া ইসলাম জান্নাত রাজশাহী সিটি কলেজে এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষে পড়াশোনা করত। সেই সূত্রে দু'জনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ছয় মাস ধরে তাদের এই প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিল। দুর্গাপূজার ছুটিতে তারা দু'জনই বাড়িতে আসে। বাড়ি থেকে বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার চলনবিলের বিলশা এলাকায় ঘুরতে যায়। বিষয়টি কেউ একজন জান্নাতের পরিবারকে অবহিত করে। তারা বাড়ি ফিরে এলে জান্নাতের অভিভাবক তাকে বাড়ি থেকে জোর করে সোহাগের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। একপর্যায় জান্নাত তার প্রেমিকের বাড়িতে গিয়ে অবস্থান করে বিয়ের দাবিতে। বিয়ে না করলে সে আত্মহত্যা করবে বলে জানায় সোহাগের পরিবারকে। বিষয়টি নিয়ে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন দু'দফা দুই পরিবার নিয়ে সমঝোতার চেষ্টাও করেন। কিন্তু কোনো সুরাহা হয় না। পরে রাত ১২টার দিকে প্রেমিক সোহাগ তার চাচার বাড়িতে গিয়ে ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করে। প্রেমিকের আত্মহত্যার কথা শুনে জান্নাতও শুক্রবার সকালে নিজ বাড়িতে গিয়ে হারপিক খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে গুরুদাসপুর হাসপাতালে ভর্তি করে।গুরুদাসপুর থানার ওসি মোজাহারুল ইসলাম জানান, এ ব্যাপারে একটি অপমৃত্যু (ইউডি) মামলা হয়েছে। উভয়পক্ষের অভিযোগ না থাকায় মরদেহ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
প্রেমিক-প্রেমিকার আত্মহত্যা, বড়াইগ্রাম
মুদ্রিত বইয়ের আবেদন বাড়ছে: আনিসুজ্জামান
প্রকাশ: ০৪ অক্টোবর ২০১৯ | ১০:৪৩
জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান বলেছেন, প্রযুক্তির অবিশ্বাস্য উন্নতিতে ছাপানো বইয়ের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনেকে শঙ্কা প্রকাশ করেন। কিন্তু দিন দিন বইমেলা ও প্রকাশক বাড়ছেন। প্রযুক্তির বিকাশ হলেও ছাপানো বইয়ের আবেদন কমেনি, বরং বাড়ছে।শুক্রবার রাজধানীর মহাখালীতে রাওয়া ক্লাবে দু'দিনের বইমেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। রিটায়ার্ড আর্মড ফোর্সেস অফিসার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন (রাওয়া) এ মেলার আয়োজন করেছে। শুক্রবার সকালে এর উদ্বোধন করেন আনিসুজ্জামান। রাওয়া ক্লাবের চেয়ারম্যান মেজর (অব.) খন্দকার নূরুল আফসারের সভাপতিত্বে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী ও ঢাকা মার্কেন্টাইল কো-অপারেটিভ ব্যাংকের চেয়ারম্যান গ্রুপ ক্যাপ্টেন (অব.) এম আবু জাফর চৌধুরী।আনিসুজ্জামান আরও বলেন, মুদ্রিত বই বাজার থেকে উৎখাত করবে ই-বুক, এ রকম মনে করার কারণ নেই। বইয়ের সমাদর কিছুমাত্র কমেনি। অনেকে মনে করছেন, মুদ্রিত বইপত্রের ভবিষ্যৎ বোধহয় ভালো না। কিন্তু অভিজ্ঞতা বলছে, ই-বুক তথা যান্ত্রিক বইপত্র ছড়িয়ে পড়লেও মুদ্রিত বইয়ের প্রতি আকর্ষণ বেশি কমেনি। তিনি বলেন, বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় বইমেলার আয়োজন করে বাংলা একাডেমি। এ মেলার পরিসর প্রতিবছর বাড়ছে, বই বিক্রির সংখ্যা, প্রকাশকের সংখ্যা বাড়ছে। প্রকাশকরা পাবলিক লাইব্রেরিতে নানা সময়ে এককভাবে বইমেলা করছেন। ঢাকার বাইরে বিভিন্ন বিভাগীয় শহরে নানা বইমেলা আয়োজিত হয়।কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজী বলেন, অবসরে সামরিক কর্মকর্তারা যে সাহিত্য চর্চা করেন, সে গুণাবলি তারা জন্ম থেকেই বহন করছেন। তরুণদেরও শিল্প-সাহিত্যের প্রতি আকৃষ্ট করতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, বইমেলার অন্যতম দিক হওয়া উচিত পরবর্তী প্রজন্মের আগ্রহ সৃষ্টি করা। এখন ফোনের মধ্যে সবই আছে। বইও পড়া যায়। কিন্তু কালো হরফে সাদা কাগজে যে দেহটি ফুটে ওঠে, তার মায়া অন্যরকম। তা আরও মনোহারি।উদ্যোক্তারা জানান, রাওয়া ২০১৪ সাল থেকে প্রতিবছরের মে মাসে বইমেলা করে থাকে। এ বছর ষষ্ঠ আয়োজনটি করা হয়েছে চলতি মাসে। গতকাল শুরু হওয়া এ মেলা চলবে আজ শনিবার পর্যন্ত। মেলায় ৫০টি স্টল রয়েছে। দেশের বড় ১০ প্রকাশনীর পাশাপাশি অবসরপ্রাপ্ত সামরিক কর্মকর্তা লেখকদের বিভিন্ন ধরনের বই ৪০টি স্টলে বিক্রির জন্য প্রদর্শিত হচ্ছে। ভ্রমণকাহিনী, শিশুতোষ, গল্প, উপন্যাস, কবিতাসহ নানা বই রয়েছে।
জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান, বই, বইমেলা
সত্যপ্রিয় মহাথের আর নেই
প্রকাশ: ০৪ অক্টোবর ২০১৯ | ১১:০৯
সংঘরাজ ভিক্ষু মহাসভার প্রাক্তন সভাপতি ও একুশে পদকপ্রাপ্ত বৌদ্ধধর্মীয় গুরুপণ্ডিত সত্যপ্রিয় মহাথের আর নেই। বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। তার বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর। বার্ধক্যজনিত জটিলতায় গত ১৫ সেপ্টেম্বর তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সমাজসেবায় অবদানের জন্য ২০১৫ সালে একুশে পদক লাভ করেন কক্সবাজারের রামু কেন্দ্রীয় সীমা বিহারের এই অধ্যক্ষ। বাংলাদেশের বৌদ্ধদের তৃতীয় সর্বোচ্চ ধর্মীয় গুরু উপসংঘরাজ সত্যপ্রিয় মহাথেরর মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। শুক্রবার এক শোকবার্তায় রাষ্ট্র্রপতি সত্যপ্রিয়র বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরও শোকবার্তা পাঠিয়েছেন।শুক্রবার বিকেল ৩টায় সত্যপ্রিয় মহাথেরর মরদেহ রামু কেন্দ্রীয় সীমা মহাবিহারে পৌঁছায়। এ ময় শোকাহত হাজারো বৌদ্ধ নারী-পুরুষসহ সর্বস্তরের জনতা, রাজনীতিবিদ, প্রশাসনের প্রতিনিধি প্রবীণ এই বৌদ্ধ ভিক্ষুর প্রতি সম্মান জানান। সন্ধ্যা ৬টায় পুণ্যদান অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রয়াত ভিক্ষুকে বিহারে প্রবেশ করানো হয়। বিহারে শয়নদান অনুষ্ঠানে পুণ্যদান করেন বিজয় রক্ষিত মহাথের, প্রিয়রত্ন থের, সারমিত্র মহাথের, সুনন্দপ্রিয় থের, করুণাশ্রী থের, প্রজ্ঞাবোধী থের, শীলপ্রিয় থের ও প্রজ্ঞানন্দ ভিক্ষু।রামু কেন্দ্রীয় সীমা মহাবিহারের সাধারণ সম্পাদক রাজু বড়ূয়া জানান, শুক্রবার ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পণ্ডিত সত্যপ্রিয় মহাথেরর মরদেহ বিহারে রাখা হয়েছে। আগামী এক সপ্তাহ মরদেহ পেটিকাবদ্ধ করে সংরক্ষণ করা হবে। অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার সিদ্ধান্ত পরে জানানো হবে। সত্যপ্রিয় মহাথের ১৯৩০ সালের ১০ জুন কক্সবাজারের রামু উপজেলার ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের পশ্চিম মেরংলোয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা হরকুমার বড়ূয়া ও মা প্রেমময়ী বড়ুয়া। তিন সন্তানের মধ্যে সত্যপ্রিয় সবার ছোট। তার পারিবারিক নাম বিধু ভূষণ বড়ুয়া। ১৯৫০ সালে তিনি প্রবজ্যায় দীক্ষিত হয়ে সত্যপ্রিয় নাম ধারণ করেন। পরের বছর ভিক্ষু দীক্ষিত হন। ১৯৫৪ সালে উচ্চশিক্ষার জন্য মিয়ানমার পাড়ি জমান। সেখানে তিনি ১০ বছর লেখাপড়া, গ্রন্থ রচনা ও সাধনা করেন।মিয়ানমার থেকে ১৯৬৪ সালে দেশে ফিরে তিনি রামু কেন্দ্রীয় সীমা বিহারে পাঠদানে যোগ দেন। মৃত্যুর আগে তিনি ওই বিহারের অধ্যক্ষ ছিলেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় রামু বিহারে ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে সবাইকে আশ্রয় দিয়ে প্রশংসিত হয়েছিলেন সত্যপ্রিয়। ২০০৬ সালে বাংলাদেশি বৌদ্ধ ভিক্ষুসংঘের সর্বোচ্চ ধর্মীয় সংগঠন বাংলাদেশ সংঘরাজ ভিক্ষু মহাসভার সভাপতির পদ লাভ করেন তিনি। একুশে পদক ছাড়াও ২০১০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বৌদ্ধ ছাত্র সংসদ তাকে শান্তি পুরস্কার ও ২০০৩ সালে মিয়ানমার থেকে বিশেষ সম্মাননায় ভূষিত হন।
সত্যপ্রিয় মহাথের, সংঘরাজ ভিক্ষু মহাসভা
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ফান্ডে কত টাকা?
প্রকাশ: ০৪ অক্টোবর ২০১৯ | ১১:১৬ | আপডেট: ০৫ অক্টোবর ২০১৯ | ০১:৫৯
গত দুই বছরে অনুদান হিসেবে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি সংগ্রহ করেছে ৫৮ লাখ ৭০ হাজার ৯৬ টাকা। শিল্পীদের জন্য খরচ হয়েছে মাত্র ২ লাখ ৯১ হাজার ৩০০ টাকা।  বাকী টাকা খরচ করা হয়নি।  অথচ দুঃস্থ ও অসহায় শিল্পীদের সহায়তার জন্য এই টাকা সংগ্রহ করা হয়েছে।  কিন্তু সে টাকা খরচ না করে ফেলে রাখা হয়েছে সিমিতির ফান্ডে।শিল্পীদের কল্যাণে সে টাকা কেনো খরচ করা হলো না।  কিসের জন্য ফান্ডে ফেলে রাখা হলো? শিল্পীদের সহযোগিতার খরচ কি আরও বাড়ানো যেত না? এই টাকা তো শিল্পীদের সহযোগিতার জন্য দাতারা অনুদান দিয়েছেন। এত টাকা ফান্ডে ফেলে রাখার কারণ কী?’ এমন প্রশ্ন তুলেই উত্তর না পেয়ে  সমিতির বার্ষিক সাধারণ সভা থেকে বেরিয়ে যান বর্তমান কমিটির সহসভাপতি চিত্রনায়ক রিয়াজ।  খোঁজ নিয়ে জানা গেছে সংগঠনটির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী প্রতিবছর একবার বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলে গত বছর তা হয়নি।  তাই  আসন্ন নির্বাচনের আগে শুক্রবার সকালে রাজধানীর বিএফডিসির জহির রায়হান কালার ল্যাব মিলনায়তনে দুই বছরের সভা একসঙ্গে আয়োজন করা হয়।  এ সভাতেই বিগত দুই  বছরের আয়-ব্যয়সহ সমিতির নানা কার্যক্রম তুলে উত্থাপন করা হয়। দ্বিভার্ষিক এই সভায় সমিতির বর্তমান সহ-সভাপতি রিয়াজ বার বার কথা বলার সুযোগ চান।  কিন্তু তাকে কথা বলার সুযোগ দেওয়া হয়নি।  বিষয়টি নিয়ে পরে হইচই লেগে যায়।  সে সময় সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর বলেন, ‘এটি সাধারণ শিল্পীদের সভা, এখানে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ছাড়া বর্তমান কমিটির আর কেউ কথা বলতে পারবেন না।’ মিশা সওদাগরের এমন কথার জের ধরেই বের হয়ে আসেন রিয়াজ। সভা থেকে বের হয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের মুখোমুখি হন তিনি।  বলেন, ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির গঠনতন্ত্রের কোন ধারায় আছে, সভাপতি আর সাধারণ সম্পাদক ছাড়া বর্তমান কমিটির কেউ কথা বলতে পারবেন না? এমন কোনো ধারা নেই। তাঁদের কিসের ভয়? আমি তাদের কাণ্ডকীর্তি ফাঁস করে দিতাম? সাধারণ সভায় তাঁরা এমনভাবে কথা বলছিলেন যে বর্তমান কমিটির সব অর্জন শুধু তাঁদের দুজনের। বাকিদের কোনো ভূমিকা নেই। এসব নোংরামি। এই নোংরামির মধ্যে আমি থাকতে চাইনি। তাই সেখান থেকে বের হয়ে এসেছি।’সভায় আপনি কী বলতে চেয়েছিলেন?  প্রশ্ন রাখলে রিয়াজ বলেন,  সমিতির তো প্রতি বছর একবার সাধারণ সভা হওয়ার নিয়ম রয়েছে।  সেটাও হয়নি।  দুই বছরের সভা এবার একসঙ্গে হচ্ছে। কিছু তো জানার বা বলার থাকতেই পারে।’রিয়াজকে কেনো কথা বলতে দেয়া হলো না এমন প্রশ্নে জববে  বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর বলেন, ‘বার্ষিক সাধারণ সভার আগে ভোটার তালিকা প্রকাশ করা যায়। সাধারণ সভার কাজ হচ্ছে বছরজুড়ে সমিতির আয়-ব্যয়ের হিসাব ও নানা কার্যক্রম সাধারণ শিল্পীদের সামনে তুলে ধরা।’ তবে রিয়াজকে কথা বলতে না দেওয়ার জন্য যে কারণ দেখানো হয়েছে, সে ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘এ ধরনের ধারা নেই, কিন্তু আগের কমিটিগুলোর ধারাবাহিকতায় তা করা হয়েছে। এখানে সাধারণ শিল্পীরা প্রশ্ন করবেন, চলতি কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সে প্রশ্নের উত্তর দিয়ে থাকেন। 
রিয়াজ, চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি, সাধারণ সভা
প্রেমের ফাঁদে ধর্ষণের শিকার ২ শিক্ষার্থী
প্রকাশ: ০৪ অক্টোবর ২০১৯ | ১১:১৭
প্রেমের ফাঁদে পড়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছে দুই শিক্ষার্থী। খুলনার রূপসায় বেড়াতে গিয়ে কথিত প্রেমিক ও তার বন্ধুদের গণধর্ষণের শিকার হয়েছে এক মাদ্রাসাছাত্রী। অন্যদিকে যশোরের অভয়নগরে এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করেছে তার প্রেমিক। খুলনা ব্যুরো ও রূপসা প্রতিনিধি জানান, রূপসার এক মাদ্রাসাছাত্রীকে (১৬) গণধর্ষণের অভিযোগে ছয় যুবককে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃতরা হলো- রূপসার শ্রীফলতলা গ্রামের শরীফুল ইসলাম, আসাদ উল্লাহ, কামরুল, নাঈম, বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জের রিয়াজ ও সাতক্ষীরার সোহেল। ধর্ষণের শিকার মাদ্রাসাছাত্রীকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (খুমেক) ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়েছে।খুলনা জেলা পুলিশের অ্যাডিশনাল এসপি মো. নূর আলম সিদ্দিকী জানান, ভুক্তভোগী মেয়েটি মোরেলগঞ্জে নানাবাড়ি থেকে মাদ্রাসায় লেখাপড়া করে। তার মা থাকেন খুলনার সোনাডাঙ্গায়। মেয়েটি মায়ের কাছে বেড়াতে এসে বুধবার তার প্রেমিক মোরেলগঞ্জের নিয়ামুলের সঙ্গে শহীদ হাদিস পার্কে ঘুরতে যায়। এ সময় তার সঙ্গে আট বছরের এক খালাতো ভাই ছিল। এক পর্যায়ে নিয়ামুল মেয়েটিকে রূপসার শ্রীফলতলার একটি বাগানে নিয়ে যায়। সেখানে আগে থেকে অবস্থান করা দু'জন ও নিয়ামুল মেয়েটিকে ধর্ষণ করে। অন্যরা ছোট ছেলেটিকে সরিয়ে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর মা রূপসা থানায় অভিযোগ করেন। এ ঘটনায় শুক্রবার ধর্ষণ মামলা হয়েছে। মূল আসামি নিয়ামুলকে আটকের জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।নওয়াপাড়া (যশোর) প্রতিনিধি জানান, প্রেমের ফাঁদে ফেলে অভয়নগরে এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করেছে কথিত প্রেমিক সাব্বির আহম্মেদ (২০)। সে উপজেলার চলিশিয়া ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আলী বেগের ছেলে। বৃহস্পতিবার এ ঘটনা ঘটে। ওই স্কুলছাত্রীর মা বাদী হয়ে শুক্রবার অভয়নগর থানায় মামলা করেছেন। পুলিশ ধর্ষক সাব্বিরকে আটক করতে পারেনি।পুলিশ জানায়, সাব্বির ওই মেয়েকে বৃহস্পতিবার বিকেলে ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে চলিশিয়া গ্রামে তার বন্ধু নাসিরের বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে পানির সঙ্গে চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে অজ্ঞান করে ধর্ষণ করে। পরে মেয়েটির জ্ঞান ফিরলে মোটরসাইকেলে সাব্বির তাকে বাড়িতে দিয়ে যায়। ঘটনা জানাজানি হলে ওই ছাত্রীর পরিবার সাব্বিরকে বিয়ে করার প্রস্তাব দেয়। কিন্তু ওই ছাত্রী নাবালিকা হওয়ায় সমস্যা দেখা দেয়। অভয়নগর পুলিশ ঘটনা জানতে পেরে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।মামলার তদন্ত কর্মকর্তা অভয়নগর থানার এসআই হাবিবুর রহমান হাবিব জানান, ভিকটিমের মা বাদী হয়ে মামলা করেছেন। ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষা হয়েছে। শিগগির ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।
ধর্ষণ, খুলনা, নওয়াপাড়া
ঘোড়ার গাড়ি বন্ধের দাবি
প্রকাশ: ০৪ অক্টোবর ২০১৯ | ১১:২৩ | আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০১৯ | ০৯:১১
প্রাণীর প্রতি অমানবিকতার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে রাজধানীসহ সারাদেশে ঘোড়ার গাড়ি বন্ধের দাবি উঠেছে। বিশ্ব প্রাণী দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে শুক্রবার আয়োজিত মানববন্ধন থেকে এ দাবি তোলা হয়। পিপল ফর অ্যানিমেল ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন এই কর্মসূচির আয়োজন করে। তাদের প্রধান দাবি- নির্যাতিত প্রাণী বিশেষ করে ঘোড়া ও ঘোড়ার শ্রমের ওপর প্রাণীকল্যাণ আইন অনুযায়ী নীতিমালা গ্রহণ করতে হবে। এ ছাড়া প্রাণী ব্যবহার করে অমানবিক শ্রমকে চিরতরে বিলীন করার উদ্যোগ নিতেও সরকারের প্রতি আহ্বান জানায় সংগঠনটি। এ ছাড়া বরিশালে কর্মসূচির আয়োজন করে স্ট্যান্ড ফর অ্যানিমেলস নামে একটি সংগঠন। যশোর ও খুলনায়ও প্রাণীকল্যাণ বিষয়ক জনসচেতনতামূলক শোভাযাত্রাসহ নানা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।সমকালে শুক্রবার 'ঘোড়ার কাঁধে গাধার বোঝা' শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনের তথ্য তুলে ধরে দুই কর্মসূচি থেকে ঘোড়ার গাড়ি বন্ধে সরকারের প্রতি জোর দাবি জানানো হয়। বক্তারা বলেন, রাজধানী ঢাকাসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিভিন্ন কাজে ঘোড়ার বাণিজ্যিক ব্যবহার রয়েছে। কিন্তু সেক্ষেত্রে লক্ষ্য করা যায়, প্রতিটি ঘোড়া দিয়ে তার সামর্থ্যের বাইরে পরিশ্রম করানো হচ্ছে। তাকে ঠিকমতো খাবার দেওয়া হচ্ছে না। প্রয়োজনীয় বিশ্রাম ও চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে না। এমনকি একটি ঘোড়া যখন তার কর্মক্ষমতা হারিয়ে ফেলে, তখন তাকে যত্রতত্র উন্মুক্ত স্থানে অযত্নে ফেলে রাখা হচ্ছে। ফলে ঘোড়াটির করুণ পরিণতি ঘটে।জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন থেকে ১০টি দাবি তুলে ধরেন সংগঠনের চেয়ারম্যান স্থপতি রকিবুল হক এমিল। এর মধ্যে রয়েছে শ্রমজীবী ঘোড়ার শ্রমকে আইনের নজরদারিতে আনা, নতুন করে ঘোড়ার গাড়ির প্রস্তুতি ও পরিচালনা বন্ধ করা, বাণিজ্যিকভাবে ঘোড়ার উৎপাদন প্রাণিকল্যাণ আইনের আওতায় আনা, ঘোড়ার চিকিৎসায় বিশেষজ্ঞ প্রাণী চিকিৎসক ও উন্নত যন্ত্রপাতির ব্যবস্থা না করে ঘোড়া ব্যবহার বন্ধ করা, শ্রমজীবী ঘোড়া অসুস্থ বা বয়স হয়ে অবসরে গেলে পুনর্বাসনের দায় ঠিক করা, শহর ও পর্যটন এলাকায় অসুস্থ ঘোড়াকে অযত্নে রাস্তায় ছেড়ে দিলে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরকে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের দায়িত্ব নেওয়া, দেশের প্রতিটি ঘোড়া প্রজনন কেন্দ্র ও শ্রমিক ঘোড়াকে তালিকাভুক্ত করে স্বাস্থ্য সনদের ব্যবস্থা করা, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের অধীনে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ও প্রাণী অধিকার প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে মনিটরিং কমিটি গঠন করা এবং মনিটরিং কমিটির স্বচ্ছতার জন্য সমাজে গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপদেষ্টা হিসেবে রাখা।এ কর্মসূচিতে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রেস্কিউ সেন্টারের ডিরেক্টর রত্না জুলিয়ানা গোমেজ, প্রকল্প ব্যবস্থাপক ওয়ানাস আহমেদ ও স্থপতি তাসনিম জান্নাত।অন্যদিকে, বরিশালের মহাত্মা অশ্বিনীকুমার টাউন হলের সামনে প্ল্যাকার্ড, ব্যানার ও ফেস্টুন হাতে দাঁড়ায় স্ট্যান্ড ফর অ্যানিমেলসের সদস্যরা।সকল প্রাণীর সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপনের জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে তারা বলেন, বেওয়ারিশ প্রাণীদের ওপর নৃশংসতা বন্ধ করতে হবে। কোনো প্রাণীকেই নির্যাতন করা যাবে না। শ্রমজীবী প্রাণী হিসেবে পরিচিত ঘোড়ার অধিকার প্রতিষ্ঠার বিষয়ে জোর বক্তব্য দেন তারা।বক্তারা আরও বলেন, বর্তমান প্রযুক্তির যুগে যেখানে মোটরচালিত যানবাহনের ছড়াছড়ি, সেখানে ঘোড়ার মতো একটা নিরীহ প্রাণীকে দিয়ে নির্বিচারে পরিশ্রম করানো অযৌক্তিক। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জিয়াউল হক, সায়েদ হোসেন, রাইসুল ইসলাম সেতু, আহমেদ সম্পদ, মো. ইব্রাহিম খলিল, সাদিয়া জাহান, সায়েদ রিমেল, রবিন জন, এশা লাজিনা, আফিয়া প্রমি প্রমুখ।
বিশ্ব প্রাণী দিবস , ঘোড়ার গাড়ি
'যুদ্ধে'র প্রস্তুতি নিতে চায় জঙ্গিরা
প্রকাশ: ০৪ অক্টোবর ২০১৯ | ১১:২৬
নিরীহ মানুষ হত্যা এবং দেশে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে চায় জঙ্গিরা। রিমান্ডে পুলিশকে এমন ভয়ঙ্কর তথ্য দিয়েছেন নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের (এবিটি) সদস্য মো. শাহজাহান। শুক্রবার পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে তাকে ও একই সংগঠনের সদস্য জঙ্গি মেহেদি হাসান জয়কে (২১) নোয়াখালী জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। নোয়াখালীর চাটখিল থানার পুলিশ জানায়, গত ২৫ সেপ্টেম্বর চাটখিল উপজেলার নোয়াখলা ইউনিয়নের ঘাষিপুর গ্রাম থেকে মেহেদিকে ও তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী পরদিন ঢাকার শ্যামলী থেকে শাহজাহানকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ পরিদর্শক মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশের অ্যান্টি-টেররিজম ইউনিটের একটি দল তাদের গ্রেফতার করে। এ ঘটনায় চাটখিল থানায় মামলা করা হয়। মেহেদি ঘাষিপুর গ্রামের মোশারফ হোসেনের ছেলে এবং শাহজাহান একই ইউনিয়নের নোয়াখলা গ্রামের দিদার হোসেনের ছেলে। অভিযানের সময় তাদের কাছ থেকে বেশ কিছু জিহাদি বই, একটি ল্যাপটপ ও একটি স্মার্টফোন উদ্ধার করা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা চাটখিল থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক রেজাউল করিম জানান, গত ২৭ সেপ্টেম্বর তাদের আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হলে পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়। তিনি আরও জানান, রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাথী মেহেদি কোনো তথ্য দেয়নি। তবে শাহজাহান অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। সে জানায়, মেহেদি তার স্থানীয় গুরু। শাহজাহান চাটখিল পাঁচগাঁও মাহাবুব সরকারি ডিগ্রি কলেজের স্নাতক শ্রেণির শিক্ষার্থী। ইন্টারনেট, ফেসবুক ও ইউটিউবের মাধ্যমে বিভিন্ন লিঙ্কের সূত্র ধরে এক বছর আগে সে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমে যুক্ত হয়। সে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরকার-বিরোধী লেখা পোস্ট দিত নিয়মিত। শাহজাহান আরও জানায়, লুনক নামে একটি বইয়ে লেখা পেয়েছেন, নিরীহ মানুষকে হত্যা করতে হবে এবং দেশে একটি যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে। এই বিষয়ে তাদের এক গুরু একই কথা বলেছেন। সে অনুযায়ী শাহজাহান এক জঙ্গি নেতার মাধ্যমে প্রশিক্ষণও নিয়েছে। তবে মামলার তদন্ত স্বার্থে ওই জঙ্গির নেতার নাম-ঠিকানা জানাতে অপারগতা প্রকাশ করে পুলিশ। রেজাউল করিম জানান, শিবিরের সাথী মেহেদির সঙ্গে শাহজাহানের পরিচয় হয় চাটখিলের শ্রীনগর বাইতুল মামুর জামে মসজিদে নামাজ পড়তে আসার-যাওয়ার সময়। শাহজাহানকে মূলত জঙ্গি সংগঠনে সম্পৃক্ত হতে সহযোগিতা করেন মেহেদি। প্রতিদিন নামাজ শেষে মেহেদি জঙ্গি ও জিহাদি বইপুস্তক নিয়ে শাহজাহানকে তালিম দিত। শাহজাহান একদিন রাতে ল্যাপটপে অনলাইনে জঙ্গি সংগঠনের লেখা পড়ার সময় তার বাব-মা বিষয়টি টের পেয়ে তাকে এসব পথ থেকে দূরে সরে আসার আহ্বান জানিয়ে ছিলেন। চাটখিল থানার ওসি আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, মেহেদিকে ফের রিমান্ডে আনবেন কি না, সে বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। নোয়াখালী পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন দুই জঙ্গি সদস্যের কাছ থেকে রিমান্ডে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়ার কথা স্বীকার করলেও বিষয়টি তদন্তাধীন থাকায় এ নিয়ে বিস্তারিত বলতে রাজি হননি।
এবিটি, আনসারুল্লাহ বাংলা টিম, জঙ্গি
সৌদি আরব থেকে ফিরে এসেছেন ১৩০ কর্মী
প্রকাশ: ০৪ অক্টোবর ২০১৯ | ১১:৪১ | আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০১৯ | ০৯:১১
সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরেছেন ১৩০ কর্মী! বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে তারা সৌদি এয়ারলাইন্স (এসভি ৮০৪) বিমান যোগে ফিরে আসেন। প্রবাসীকল্যাণ ডেস্কের সহযোগিতায় ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রাম তাদের স্বজনদের কাছে তুলে দেয়। নাটোরের রবিউল করিম, বাগেরহাটের মেহেদি হাসানসহ দেশে ফেরা কর্মীদের অভিযোগ, সৌদিতে বেশ কিছুদিন ধরে ধরপাকড়ের শিকার হচ্ছেন বাংলাদেশি শ্রমিকরা। অভিযানে বাদ যাচ্ছেন না বৈধ আকামা থাকা কর্মীরাও। তাদেরও কর্মস্থল থেকে ফেরার পথে আটক করছে সৌদি পুলিশ। নিয়োগকর্তারাও বিপদগ্রস্ত শ্রমিকদের দায়িত্ব নিচ্ছেন না। দীর্ঘদিন অবৈধভাবে সৌদিতে অবস্থানের কারণেও অনেককে আটক করে দেশে ফেরত পাঠানো হচ্ছে। চলতি বছর সৌদি থেকে অন্তত ১২ হাজার কর্মী দেশে ফিরেছেন।
সৌদি আরব , প্রবাসীকল্যাণ, ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রাম
লন্ডনে প্রভাবশালী রাজনীতিবিদের তালিকায় টিউলিপ
প্রকাশ: ০৪ অক্টোবর ২০১৯ | ১১:৫৪
লন্ডনে প্রভাবশালী রাজনীতিবিদের তালিকায় রয়েছেন টিউলিপ সিদ্দিক। লন্ডনভিত্তিক সংবাদপত্র ইভিনিং স্ট্যান্ডার্ড এ তালিকা প্রকাশ করেছে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোট বোন শেখ রেহানার মেয়ে টিউলিপ ব্রিটেনের লেবার পার্টি থেকে লন্ডনের হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ড কিলবার্ন আসনের এমপি। ইভিনিং স্ট্যান্ডার্ডের 'প্রোগ্রেস ১০০০' নামে এ তালিকায় রাজনীতিবিদ ছাড়াও ব্যবসায়ী, প্রযুক্তিবিদ, বিজ্ঞানী, ডিজাইনার, সাহিত্য ও সংস্কৃতিসহ বিভিন্ন খাতের শীর্ষস্থানীয়দের নাম উঠে আসে।টিউলিপ সিদ্দিক তালিকায় স্থান পেয়েছেন ওয়েস্টমিনস্টার ক্যাটাগরিতে। তিনি ছাড়াও তালিকায় আছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন, ডাচ অফ ল্যানকাস্টারের চ্যান্সেলর মাইকেল গভ, স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক ও শিক্ষামন্ত্রী গেভিন উইলিয়ামসনের মতো লন্ডনের রাজনীতিকরা।টিউলিপকে নিয়ে সেখানে লেখা হয়েছে, যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে সাবেক প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মের ব্রেপিট চুক্তির বিপক্ষে ভোট দেওয়ার জন্য সন্তান জন্মদানের অস্ত্রোপচার পিছিয়ে বিশ্বব্যাপী সংবাদ শিরোনাম হয়েছিলেন এমপি টিউলিপ সিদ্দিক।তখন পর্যন্ত যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে সাধারণত কোনো এমপির সন্তান জন্ম দেওয়ার সময় আসন্ন হলে বা সদ্যোজাত সন্তানের কারণে বা অসুস্থতার কারণে কোনো ভোটে অংশ নিতে না পারলে বিরোধী পক্ষেরও একজন সদস্যও ভোটদান থেকে বিরত থাকতেন, যাকে 'পেয়ার' বলা হত। কারও অনুপস্থিতি যেন ভোটের ফলে প্রভাব ফেলতে না পারে, তাই ওই প্রথা। কিন্তু ২০১৮ সালের জুলাইয়ে কনজারভেটিভ পার্টির প্রধান ব্রান্ডন লুইস ওই প্রথা লঙ্ঘন করে ভোট দিয়েছিলেন। যদিও লুইস পরে এজন্য দুঃখ প্রকাশ করে বলেছিলেন, 'দুর্ঘটনাবশত' ভোট দিয়ে ফেলেছিলেন তিনি।অতীতের এ ঘটনার কারণে ওই ব্যবস্থায় তার আর আস্থা নেই জানিয়ে সশরীরে পার্লামেন্টে গিয়ে ভোট দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন টিউলিপ। তার এই সাহসী সিদ্ধান্তের কারণে সন্তান প্রত্যাশী ও নবজাতকদের বাবা-মার জন্য ঐতিহাসিক 'প্রপি ভোটিং' পদ্ধতি চালু করতে বাধ্য হয় ব্রিটিশ সরকার। এ বিষয়টিকেই গুরুত্বপূর্ণ মনে করছে ইভিনিং স্ট্যান্ডার্ড।এছাড়া ২০১৫ সালের মে মাসে এমপি হয়েই হাউজ অব কমন্সে গিয়ে প্রথম ভাষণেই নজর কাড়েন টিউলিপ সিদ্দিক। ওই ভাষণে শরণার্থী ও আশ্রয় প্রার্থীদের প্রতি ব্রিটেনের সহৃদয়তার ওপর আলোকপাত করেন টিউলিপ। বিবিসির তৈরি ব্রিটিশ পার্লামেন্টে সবচেয়ে স্মরণীয় নবনির্বাচিতদের ভাষণের তালিকায়ও স্থান পায় তার সেই ভাষণ।নিজেকে 'একজন আশ্রয় প্রার্থীর কন্যা' হিসেবে বর্ণনা করে সে সময় মা শেখ রেহানার দুর্দশার বিবরণ দেন তিনি। ১৯৭৫ সালে পরিবারের অধিকাংশ সদস্যসহ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিহত হওয়ার পর লন্ডনে রাজনৈতিক আশ্রয় খোঁজেন তার ছোট মেয়ে শেখ রেহানা।
টিউলিপ সিদ্দিক, হ্যাম্পস্টেড, ইভিনিং স্ট্যান্ডার্ড
সম্প্রীতি সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে দুর্গাপূজা: রাষ্ট্রপতি
প্রকাশ: ০৪ অক্টোবর ২০১৯ | ১২:১০
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, দুর্গাপূজা শুধু ধর্মীয় উৎসব নয়, এটি দেশবাসীর মধ্যে ঐক্য ও পারস্পরিক সম্প্রীতি সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। দেশের সার্বিক অগ্রগতির সঙ্গে ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে এগিয়ে নিতে ব্যক্তি ও সামাজিক জীবনে এ উৎসবের চেতনাকে কাজে লাগাতে হবে। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা উপলক্ষে শুক্রবার নগরীর বনানী পূজামণ্ডপে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, সুখী-সমৃদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সমাজ থেকে অসত্য, অবিচার ও অন্যায় দূর করতে দুর্গাপূজার চেতনা কাজে লাগাতে হবে। বাংলাদেশ ধর্মীয় সম্প্রীতির অনন্য দৃষ্টান্ত। এ দেশে সব ধর্মের মানুষ সুদীর্ঘকাল ধরে অত্যন্ত আন্তরিক পরিবেশে তাদের ধর্মীয় উৎসব পালন করে আসছে। এর আগে সেখানে রাষ্ট্রপতিকে স্বাগত জানান ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম, সংসদ সদস্য ও চলচ্চিত্র অভিনেতা আকবর হোসেন পাঠান (ফারুক), সর্বজনীন পূজা ফাউন্ডেশনের সভাপতি সুবল চন্দ্র্র দাস। রাষ্ট্রপতি এ সময় 'বোধন' প্রকাশনার মোড়কও উন্মোচন করেন।এর আগে শুক্রবার বিকেলে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশন এবং ঢাকেশ্বরী মন্দিরের পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করেন। ঢাকেশ্বরী পূজামণ্ডপে পৌঁছলে সেখানে রাষ্ট্রপতিকে স্বাগত জানান খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র সাঈদ খোকন, হাজী মোহাম্মদ সেলিম এমপি, সাবেক এমপি মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন ও বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি মিলন কান্তি দত্ত।রামকৃষ্ণ মঠ ও মণ্ডপে রাষ্ট্রপতিকে স্বাগত জানান কাজী ফিরোজ রশীদ এমপি, রামকৃষ্ণ মিশনের ম্যানেজার স্বামী সর্বতীতানন্দ ও ডিএসসিসি মেয়র সাঈদ খোকন।এসব পূজামণ্ডপে উৎসব উদযাপন কমিটির পক্ষ থেকে রাষ্ট্রপতিকে ক্রেস্ট ও উত্তরীয় উপহার দেওয়া হয়।
দুর্গাপূজা, রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ
হাজারীবাগে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রের আত্মহত্যা
প্রকাশ: ০৪ অক্টোবর ২০১৯ | ১২:১৮
রাজধানীর হাজারীবাগের রায়েরবাজারে সাকিব ভুঁঁইয়া নামে এক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। শুক্রবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। সাকিবকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে এমবিএর ছাত্র।সাকিবের মা শিরিন আক্তার জানান, রায়েরবাজারের জাফরাবাদ এলাকায় পরিবারের সঙ্গে থাকতেন সাকিব। ঘটনার সময় তিনি বাসায় ছিলেন না। তার স্বামী আবদুর রহিম ভুঁইয়াও নামাজ পড়তে গিয়েছিলেন। সাকিব তার ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। পরে বাসায় ফিরে তারা সাকিবের ঘরের দরজা বন্ধ দেখে ডাকাডাকি করেন। কোনো সাড়া না পাওয়ায় সন্দেহ হলে দরজা ভেঙ্গে ভেতরে ঢুকে দেখেন, ফ্যানের সঙ্গে গলায় রশি দিয়ে ফাঁস দিয়েছেন সাকিব।কী কারণে সাকিব আত্মহত্যা করেছেন তা নিশ্চিত হতে পারেননি স্বজনরা। তবে তিনি লেখাপড়াসহ বিভিন্ন বিষয়ে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের এএসআই আবদুল খান জানান, ময়নাতদন্তের জন্য সাকিবের দেহ মর্গে রাখা হয়েছে। শনিবার আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
হাজারীবাগ, আত্মহত্যা
অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে সবাইকে লড়াই করতে হবে: স্পিকার
প্রকাশ: ০৪ অক্টোবর ২০১৯ | ১২:২৫
জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিল অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা। হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান সব ধর্মের সম্প্রীতির দেশ হবে বাংলাদেশ- যেখানে ধর্মহীনতা নয়, ধর্মনিরপেক্ষতাই মূল ভিত্তি। স্পিকার বলেন, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সমাজের প্রতিটি মানুষকেই অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে।স্পিকার শুক্রবার সন্ধ্যায় বনানী মাঠে গুলশান- বনানী সর্বজনীন পূজা ফাউন্ডেশনের দুর্গোৎসব আয়োজনের দ্বাদশ বর্ষপূর্তি ও এবারের শারদোৎসব উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি পূজা উদযাপন পরিষদের প্রকাশিত 'বোধন' স্মরণিকার মোড়ক উন্মোচন করেন।ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, শারদীয় দুর্গাপূজা সনাতন ধর্মাবলম্বী মানুষের জন্য আনন্দের এক মিলন মেলা। সব ধর্মই সত্য, সুন্দর ও কল্যাণের কথা বলে। গুলশান-বনানী সর্বজনীন পূজা উদযাপন ফাউন্ডেশনের সভাপতি সুবল চন্দ্র সাহার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য, ড. বীরেন শিকদার এমপি, আকবর হোসেন পাঠান এমপি, গুলশান ক্লাবের সভাপতি শওকত আজিজ রাসেল, গুলশান-বনানী সোসাইটির সভাপতি শওকত আলী ভূঁইয়া ডিলন এবং ভারতের ডেপুটি হাইকমিশনার বিশ্বজিৎ দে।পরে স্পিকার প্রদীপ প্রজ্বালনের মাধ্যমে শারদীয় দুর্গোৎসবের শুভ উদ্বোধন করেন। এর আগে দেশের বিশিষ্ট গুণীজনদের হাতে শারদীয় সম্প্রীতি সম্মাননা ১৪২৬ তুলে দেন স্পিকার। মোট ১২ জনকে দেশে সম্প্রীতিতে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ এ সম্মাননা দেওয়া হয়। সম্মাননাপ্রাপ্তদের মধ্যে আছেন- সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত (মরণোত্তর), শিল্পী সুবীর নন্দী (মরণোত্তর), মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার চিত্ত রঞ্জন দত্ত (মরণোত্তর), জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান, লেখক-সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির, লেখক শিক্ষাবিদ মুহম্মদ জাফর ইকবাল, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি জিয়াউদ্দিন তারিক আলী, চিকিৎসক ডা. সামন্ত লাল সেন, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নাসির উদ্দীন ইউসুফ, আইনজীবী ও মানবাধিকার কর্মী সুলতানা কামাল, চিত্রশিল্পী হাশেম খান ও সাংবাদিক আবেদ খান। পরে স্পিকার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী , শারদোৎসব, দুর্গোৎসব
‘অভিযোগ প্রমাণিত হলে প্রার্থিতাই বাতিল’
প্রকাশ: ০৪ অক্টোবর ২০১৯ | ১২:৩১ | আপডেট: ০৫ অক্টোবর ২০১৯ | ০০:১৭
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন আগামী ২৫ অক্টোবর। এবারের নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন। ভোট সুষ্ঠুভাবে যেন হয় তার জন্য ইতিমধ্যেই নিয়মনীতি বাতলে দিয়েছেন সমিতির সাবেক এই সাধারণ সম্পাদক।তিনি জানালেন, নির্বাচন সম্পন্ন হওয়া পর্যন্ত প্রার্থীরা কী ধরনের আচরণ করতে পারবেন, প্রচার-প্রচারণায় কতটা অংশ নিতে পারবেন সে বিষয়ে জানানো হয়েছে সব প্রার্থীকে। প্রার্থীদের আচরণ বিধিমালার গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় নিয়ে সমকাল অনলাইনকে ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, 'দেখা যায় নির্বাচন উপলক্ষে সমিতির আশপাশে বেশ খাওয়া-দাওয়া হয়। ফলে সমিতিতে গ্যাদারিং তৈরি হয়। তাই আমাদের সমিতির স্টাডি রুমের সামনের জায়গায় জটলা তৈরি হয় এমন কিছু করতে সকল প্রার্থীকে নিষেধ করা হয়েছে।  এছাড়াও নির্বাচন উপলক্ষে দড়ি দিয়ে পোস্টার ব্যানার লাগানো– এগুলোও করতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছি।। পোস্টার লাগানোর জন্য একটা নিয়ম করে দিয়েছি। পাশাপাশি আমাদের নির্বাচন কমিশন থেকে দুটি বোর্ড থাকবে। সে বোর্ডে সব প্রার্থীর ছবি সমানভাবে লাগিয়ে দেয়া হবে।'ভোটারদের প্রার্থীরা যেন কোন প্রকার চাপ বা আর্থিক সহযোগিতা দিয়ে প্রভাবিত না করতে পারে সে দিকেও নির্বাচন কমিশন খেয়াল করছে জানিয়ে ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, নির্বাচনে গুরুতর একটা ব্যাপার হচ্ছে ভোটারকে প্রভাবিত করা। এই যেমন ভোটারদের টাকা-পয়সা বা এটা-সেটা দিয়ে প্রভাবিত করা। এ ধরনের কোনো অভিযোগ এলে সেটা যাচাই-বাছাই করে প্রমাণ পাওয়া গেলে তার প্রার্থিতাই বাতিল করা হবে।’পাশাপাশি ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট চাওয়ার ওপরেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, তবে ভোটারদের কাছে প্রার্থীরা মোবাইল করে ভোট চাইতে পারবেন। তাদের টেক্স (এসএমএস) করতে পারবেন। মেইল করতে পারবেন।ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, মনে রাখতে হবে এটা শিল্পীদের নির্বাচন। তাও চলচ্চিত্র শিল্পীদের। তাদের নির্বাচনেও যেন শিল্পের ছাপ থাকে।
ইলিয়াস কাঞ্চন, নির্বাচন কমিশনার, শিল্পী সমিতি
সেন্টমার্টিনে আবাসিক হোটেলে কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ, আটক ২
প্রকাশ: ০৪ অক্টোবর ২০১৯ | ১২:৩৫
কক্সবাজারের টেকনাফের সেন্টমার্টিন দ্বীপে একটি আবাসিক হোটেলে এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় ওই কিশোরীকে হত্যার চেষ্টাও করা হয়।শুক্রবার সন্ধায় সেন্টমার্টিন দ্বীপের ফ্র্যান্টাসি নামে আবাসিক হোটেলে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় হোটেল থেকে মো. ইমরান ও রবি আলম ওরফে হাসু নামে দুই ব্যাক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। ঘটনা সত্যতা নিশ্চত করে সেন্টমার্টিন পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই আজমীর ইলাহী বলেন, কিছু লোক রাতে একজন কিশোরীকে উদ্ধার করে ফাঁড়িতে নিয়ে আসেন। বিষয়টি শুনে হোটেল থেকে অভিযুক্ত দুই ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। তাদের জিঙ্গসাবাদ করা হচ্ছে। ওই কিশোরীর পরিবার অভিযোগ, হোটেল ম্যানাজারসহ সেখানকার লোকজন এ ঘটনায় জড়িত রয়েছে। ধর্ষণের শিকার কিশোরী সেন্টমার্টিন দ্বীপের ডেইল পাড়ার বাসিন্দা। তিনি এখন পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন।ওই কিশোরীর অভিযোগ, রাস্তা থেকে তাকে ভিন্ন কৌশলে ডেকে হোটেলের সীমানা প্রাচীরের ভেতরে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়।  ধর্ষণ শেষে আটকে রেখে মুখে কাপড় বেঁধে একটি ড্রামে ঢুকিয়ে হত্যার চেষ্টা করলে তিনি চিৎকার করেন। এসময় স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করেন।টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ রবিউল হাসান বলেন, ঘটনার খবর শুনে সেখানে পুলিশ ও চেয়ারম্যানকে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সেন্টমার্টিন, ধর্ষণ
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ধর্ষণের অভিযোগ তদন্তে সেনাবাহিনীর কমিটি
প্রকাশ: ০৪ অক্টোবর ২০১৯ | ১২:৪৪
কক্সবাজারের নয়াপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গত ২৯ সেপ্টেম্বর এক রোহিঙ্গা কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে সেনাসদস্যের বিরুদ্ধে। এ অভিযোগ অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে সেনা সদর দপ্তর। এ পরিপ্রেক্ষিতে উচ্চপর্যায়ের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে সেনাবাহিনী। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলে অপরাধী ব্যক্তি/ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আইএসপিআর।
সেনা সদর দপ্তর, আইএসপিআর
রাজনৈতিক আগাছায় নিড়ানির বিকল্প নেই
প্রকাশ: ০৪ অক্টোবর ২০১৯ | ১২:৫৬
বাংলাদেশ এখন পরিচালিত হচ্ছে বাংলাদেশপন্থি বা মুক্তিযুদ্ধপন্থিদেরহাতে। মূলত তাদের হাতেই জাতীয় স্বাধীনতার হূতগৌরব ফিরে এসেছে, প্রভূতঅবকাঠামোগত উন্নয়ন ঘটেছে, সামাজিক ও আর্থিক উন্নয়ন সূচকগুলো ওপরে উঠেছে, যাবাংলাদেশকে একটি দ্রুত বিকাশমান দেশে পরিণত করেছে। নিঃসন্দেহে এগুলো বড়অগ্রযাত্রা; কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে সেই অগ্রযাত্রায় নেতিবাচক প্রভাবলক্ষ্য করা যাচ্ছে। দুর্নীতি, রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত কিছু ব্যক্তিরদুর্বৃত্তায়নের ভয়ঙ্কর সব উদাহরণ উদ্ঘাটিত হচ্ছে। আদর্শিক রাজনীতি কলঙ্কিতহচ্ছে। দেখা যাচ্ছে, কিছু অসৎ ব্যক্তির কাছে রাজনীতি হয়ে উঠছে বিত্তবৈভবঅর্জনের হাতিয়ার। রাজনীতির এই সংস্কৃতি কেবল দুর্ভাগ্যজনকই নয়, চরমঅকল্যাণকর। এই দুষ্ট প্রবণতার বিরুদ্ধে সম্প্রতি অভিযান পরিচালিত হয়েছে।এমনকি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ক্ষমতাসীন দলের সহযোগী সংগঠনেরনেতাকর্মীদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণ চলছে। একে একটি প্রয়োজনীয় শুদ্ধিঅভিযান বলা যেতে পারে। এই অভিযানে সমাজের ব্যাপক সংখ্যক মানুষের সমর্থনআছে। কারণ তারা জানে, এই দুষ্টধারা সমাজের ও রাষ্ট্রের মঙ্গল আনতে পারে না।দেশে যে উন্নয়ন হয়েছে বা হচ্ছে, তা উল্লেখযোগ্য। সামরিক ও আধা-সামরিকসরকারগুলো রাজনীতিকে কলুষিত করেছিল। নতুন প্রজন্মকে নষ্ট রাজনীতির দিকেধাবিত করেছিল। সে ধারা আজ নেই, যা প্রার্থিত ছিল তাই ঘটছে আজ বাংলাদেশে।বাংলাদেশ মাথা তোলে দাঁড়াচ্ছে। এরপরও প্রশ্ন থাকে- উন্নয়নের সঙ্গে সুস্থধারার রাজনীতিচর্চা তাল মিলিয়ে কি চলতে পারছে? যদি পারত তাহলে যাদেরদুর্নীতি-অপকর্মের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালিত হচ্ছে, অবৈধ ক্যাসিনো বাসীমাহীন টাকা উদ্ধার করা হচ্ছে, তারা সবাই ক্ষমতার রাজনীতির সঙ্গে জড়িতথাকে কীভাবে? আগেকার দিনে রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করেছেন সমাজের বিত্তশালীরা।সময়ের স্রোতে সে ধারা বিলীন হয়েছে। অবশ্যই এটা ভালো লক্ষণ যে, রাজনীতি এখনসাধারণ মানুষের দোরগোড়ায়, কেবল বিত্তশালী বা প্রতিষ্ঠিত পরিবারের কুক্ষিগতনয়। কিন্তু যে ধারার রাজনীতি বিকশিত হচ্ছে, তাতেও কি চিন্তিত না হওয়ার কারণথাকে না? নিরপেক্ষ চোখে দেখলে বোঝা যাবে- দুর্বৃত্তায়নের থাবা শহর থেকেগ্রাম পর্যন্ত। আমরা যেন এক নষ্ট সমাজের দিকে ধাবিত হওয়ার প্রতিযোগিতা শুরুকরেছি। এর থেকে পরিত্রাণ দরকার। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র পরিচালিত হয় রাজনীতিবিদদের হাতে। কাজেই এইদুর্বৃত্তায়ন বন্ধে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন 'পলিটিক্যাল কমিটমেন্ট' বারাজনৈতিক সদিচ্ছা। এই সদিচ্ছা ছাড়া দুর্বৃত্তায়ন বন্ধ করা অসম্ভব। হয়তোকলকারখানা, দালানকোঠা, রাস্তাঘাট, অবকাঠামো তৈরি হবে; কিন্তু সমাজের মৌলভিত, মূল্যবোধ বা নৈতিকতার ভিত ধ্বংস হবে। যে মানবিক সমাজ গঠনের প্রত্যাশানিয়ে পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ গঠিত হয়েছিল, সে প্রত্যাশা ধ্বংসপ্রাপ্ত হবে।রাজনীতিবিদরাই রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রক। কাজেই সততা, নীতি, আদর্শ নিয়ে তাদেরসংযমের পথে চলতে হবে, নৈতিকতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে; অন্যথায়রাষ্ট্রের অঙ্গপ্রত্যঙ্গের পচন থামানো যাবে না। গ্রাম থেকে শহর পর্যন্ত ব্যাপক সংখ্যক তরুণ রাজনীতিতে এসেছে, এসেছেমধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্ত থেকে। তাদের সামনে সৎ ও আত্মত্যাগের দৃষ্টান্ত তুলেধরতে হবে, যাতে সবাই বোঝে রাজনীতি মানে অর্থ উপার্জন নয়, রাজনীতি গণমানুষেরকল্যাণে আদর্শের হাতিয়ার। ধানের মধ্যে চিটা থাকবে- এতে বিস্মিত হওয়ার কিছুনেই। কিন্তু বেশিরভাগ ধান চিটা হয়ে গেলে সব অর্জন অর্থহীন হয়ে পড়ে।প্রধানমন্ত্রী প্রকাশ্যেই দল ও সহযোগী সংগঠনের দুষ্ট অংশ দমনের চেষ্টাকরছেন। শুদ্ধি অভিযান শুরু করেছেন। এই অভিযান সফল হোক- এটাই প্রত্যাশা। যেদল দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকে, তাতে অনুপ্রবেশ ঘটে। হালুয়া-রুটির ভাগ পেতেঅনেকেই ছুটে আসেন ক্ষমতার বলয়ে। বলা হচ্ছে, এই অনুপ্রবেশকারীরাইদুর্বৃত্তায়ন ঘটিয়ে চলেছে। হয়তো এর গুরুত্ব অস্বীকার করা যাবে না। এইঅনুপ্রবেশকারীরা প্রশ্রয় পাচ্ছে কারও না কারও হাতে। উত্তর খুঁজতে হবে- কেনএই সুযোগসন্ধানীদের ঠেকানো যায়নি! জবাব পেতে হবে- কেন এতদিন ব্যবস্থা নেওয়াযায়নি, কে বা কাদের প্রশ্রয়ে ভয়ঙ্কর সব অঘটন ঘটে গেছে? কাজেই সংস্কারপ্রয়োজন। অন্যথায় বিপর্যয় ঠেকানো যাবে না। বলা বাহুল্য, দেশের অগ্রযাত্রায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে দুর্বৃত্তায়ন। এইপ্রবণতা রাজনীতিতে অর্থ আর পেশিশক্তির প্রভাব বাড়িয়ে দিয়েছে। রাজনীতি কেবলইস্লোগানসর্বস্ব হয়ে উঠছে। আদর্শ, জনকল্যাণ, আত্মত্যাগ ও নৈতিকতাবোধ ক্রমেইদুর্বল হচ্ছে। রাজনীতি হয়ে উঠছে অর্থ-বৈভবের হাতিয়ার। একমাত্র রাজনৈতিকসততাই পারে সুস্থ রাজনীতি ধারাকে রক্ষা করতে। অতএব প্রধানমন্ত্রী যেব্যবস্থা নিয়েছেন, তা প্রশংসনীয়। প্রতিটি দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক দল এগিয়েএলে, দেশের বৃহত্তর স্বার্থে আন্তরিকভাবে ঝাঁপিয়ে পড়লে এই ধারা অবশ্যই বন্ধহবে। মনে রাখতে হবে, এই দুর্বৃত্তরা রাজনৈতিক আগাছা, যা পরিস্কার করা ছাড়াদ্বিতীয় কোনো পথ নেই। কাজেই শুদ্ধি অভিযানের রশিটা শক্ত করে ধরে রাখতেহবে। 'জিরো টলারেন্স' নীতি চালু রাখতে হবে। প্রশাসনকে রাজনৈতিক দলমতেরঊর্ধ্বে থেকে নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে হবে। সরকারি দলসহ যারাই অপরাধ করুক,তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। আইন বিভাগ ও বিচার বিভাগ যেন আলাদাভাবে কাজকরতে পারে, সে লক্ষ্যে সঠিক উদ্যোগ নিতে হবে। মনে রাখতে হবে- রাজনীতিরসুস্থ ধারা প্রবর্তন করা না গেলে সমাজের শঙ্কা বাড়বে। রাজনৈতিক দুর্বৃত্তরা কখনও ছিল না- এ কথা বলার সুযোগ নেই। কখনও কম, কখনওবেশি। সামরিক আমলগুলোতে পরিকল্পিতভাবে রাজনীতিতে অর্থের সমাগম ঘটিয়ে সুস্থধারার রাজনীতিকে কলুষিত করা হয়েছে। নির্বাচনী গণতন্ত্রের আমলে তা নতুনমাত্রা লাভ করেছে। আদর্শিক কর্মী হওয়ার বদলে মাস্তানরা রাজনৈতিক দল ওনির্বাচনী রাজনীতির অবিচ্ছেদ্য অংশে পরিণত হয়েছে। ফলে দুর্বৃত্তায়ন বেড়েছে;তবে রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকলে এর সমাধান অসম্ভব নয়। কাজেই জাতীয় স্বার্থ ওজনপ্রত্যাশাকে সবকিছুর ঊর্ধ্বে স্থান দিতে হবে। দুর্নীতি ও ক্ষমতারঅপব্যবহার, সম্পদ আহরণের প্রবণতা যেন প্রাতিষ্ঠানিক রূপ লাভ না করে, সেদিকেনজর রাখতে হবে। মনে রাখতে হবে, রাজনীতির দুর্বৃত্তায়নে হিংসার রাজনীতিপ্রবর্তিত হয়। এ ধারা আত্মসংহারক।বাংলাদেশের কোথায় কী হচ্ছে, কোথায় কে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে যাচ্ছে, তারপুরো খবর রাখা প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে সম্ভব নয়। কাজেই রাষ্ট্রীয় ওসাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোর শক্তিশালী ভূমিকা দরকার। ভাবলে স্তম্ভিত হতেহয়, নতুন কমিটি তৈরি হওয়া মাত্র এক বছরের মাথায় ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতাদেরনিয়ে কী সব ভয়ঙ্কর খবর প্রকাশিত হলো! যে ছাত্রলীগ পাকিস্তানি স্বৈরশাসনেরবিরুদ্ধে বাঙালির জাতীয়তাবাদী আন্দোলনকে চরম ত্যাগ ও তিতিক্ষায় এগিয়েনিয়েছে, যারা মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম প্রধান প্রাণশক্তি হিসেবে আবির্ভূতহয়েছে, সেই সংগঠনের শীর্ষ নেতৃবৃন্দের এই অধঃপতন বড় শঙ্কার কারণ। শুধুছাত্রদের কথাই বলি কেন- শিক্ষকদেরও একটি অংশ নৈতিকতাবিবর্জিত হয়েছে।জনপ্রশাসনের একটি অংশেও নষ্ট প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এসব শুভ লক্ষণ নয়।অতএব নৈতিকতার প্রবর্তন জরুরি, নৈতিকতাসম্পন্ন রাজনীতি ছাড়া রাজনীতিঅর্থহীন।রাজনীতিবিদরা সমাজ নিয়ন্ত্রণ ও রাষ্ট্র পরিচালনা করেন। কাজেই সৎ, আদর্শবানরাজনীতিবিদের সংখ্যা কমে এলে দুর্গতির শেষ থাকে না। বরাবরই দেখা গেছে-দখলবাজি, চাঁদাবাজি, ভেজাল মেশানো, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডসহ যত রকমের অপরাধআছে, তার সঙ্গে এমন সব ব্যক্তি জড়িত থাকেন, যারা কোনো না কোনোভাবেক্ষমতাসীন দলের ছত্রছায়ায় আছেন। এদের সম্পর্কে সজাগ দৃষ্টি না রাখলেরাষ্ট্রযন্ত্র ব্যর্থ হবে। মনে রাখতে হবে, এই দুর্বৃত্তরা লেবাস বদলায়। এরাআদর্শের কারণে রাজনীতি করে না। অতএব এদের দমন জরুরি। এত কিছুর পরও আমি মনেকরি, সৎ ও আদর্শবান রাজনীতিবিদের সংখ্যা শেষ হয়ে যায়নি। তবে তাদের বিচরণস্তিমিত হয়েছে। প্রয়োজন সৎ ও আদর্শের দৃষ্টান্ত স্থাপন করা। প্রয়োজননৈতিকতাসম্পন্ন রাজনীতির আকাল দূর করা। কাজেই দেশের স্বার্থে, উন্নয়ন ধরেরাখার স্বার্থে রাজনীতি থেকে দুর্বৃত্তদের বিদায় করা জরুরি। অন্যথায় যেনীতি ও আদর্শের শক্তিতে বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, যে রাষ্ট্রেরস্বপ্ন দেখেছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, দেখেছিলমুক্তিযুদ্ধের লাখো শহীদ, সে রাষ্ট্রের অর্জন প্রশ্নবিদ্ধ হবে। আর এই সুযোগগ্রহণ করবে সাম্প্রদায়িক ও বাংলাদেশবিরোধী শক্তি।মুক্তিযোদ্ধা, লেখক ও সাংবাদিক
রাজনীতি, হারুন হাবীব
এসব ভিসি লইয়া কী করিব?
প্রকাশ: ০৪ অক্টোবর ২০১৯ | ১২:৫৮
শেষ পর্যন্ত গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ওপ্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. খোন্দকার নাসিরউদ্দিন পদত্যাগ করতেবাধ্য হলেন। এই পদত্যাগ করা ছাড়া তার কাছে আর বিকল্প কিছু খোলা ছিল না। যখনবিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের একটি প্রতিনিধি দল বিশ্ববিদ্যালয়ে যায় এবংফিরে এসে তার অপসারণের সুপারিশ করে, তখন তার কাছে পদত্যাগ করা ছাড়া আর কোনোগত্যন্তর ছিল না। কিন্তু তার এই পদত্যাগ সেখানে বিরাজমান সব সমস্যারসমাধান করবে না। জাতির পিতার নামে ও তার জন্মস্থানে প্রতিষ্ঠিত এইবিশ্ববিদ্যালয়টিকে তিনি কোথায় নিয়ে গিয়েছিলেন, তা ভাবতেও অবাক লাগে।সন্তানতুল্য ছাত্রছাত্রীদের তিনি জানোয়ার বলে গালি দিয়েছেন, তাদের বাবা-মানিয়ে কথা বলেছেন। একজন ভিসি কি এসব বলতে পারেন? কাদেরকে আমরা ভিসিবানিয়েছি? ছাত্রছাত্রীরা সেখানে ১২ দিন পর্যন্ত আন্দোলন করল, তার বিরুদ্ধেঝাড়ূ মিছিল হলো, এটা একদিকে সব শিক্ষকের জন্য যেমন অপমানের, তেমনি একটিবিশ্ববিদ্যালয়ের জন্যও খারাপ সংবাদ। শুরুতেই এই বিশ্ববিদ্যালয়টি একটি'বিতর্কের' মধ্যে পড়ল। আমি মনে করি, তার পদত্যাগই যথেষ্ট নয়। তার বিরুদ্ধেএন্তার অভিযোগ রয়েছে। সংবাদপত্রে যেসব খবর প্রকাশিত হয়েছে, তাতে শিক্ষকহিসেবে আমার মাথা হেঁট হয়ে যায়। একজন শিক্ষকই উপাচার্য হবেন; কিন্তু এ কেমনউপাচার্য আমরা পেলাম? এদিকে শিক্ষামন্ত্রী ৩০ সেপ্টেম্বর এক সভায় সততা ও নৈতিকতা নিয়ে কাজ করারজন্য উপাচার্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। যদিও বিভিন্ন উপাচার্যেরবিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তিনি সুনির্দিষ্টভাবে কোনো উপাচার্য বা কোনোবিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে কথা বলেননি। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, এই সততা ও নৈতিকতারকথা উপাচার্যরা কি আদৌ শুনবেন কিংবা শুনলে কতটুকু শুনবেন? প্রধানমন্ত্রীক্যাসিনো সম্রাটদের বিরুদ্ধে শুদ্ধি অভিযান পরিচালনা করার নির্দেশ দিয়েএকটা মেসেজ দিয়েছেন। আর মেসেজটি হচ্ছে পরিস্কার- কোনো দুর্নীতি ও অন্যায়তিনি সহ্য করবেন না। প্রধানমন্ত্রীর এই নির্দেশ সাধারণ মানুষ সমর্থন করেছে।এখন বোধকরি সময় এসেছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও এক ধরনের শুদ্ধি অভিযানচালানোর। কেননা বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যাপক আর্থিক অনিয়ম হয়েছে।অতি ক্ষমতাবান ভিসিরা প্রায় ক্ষেত্রেই কোনো আইন-কানুন মানছেন না। শুধুআর্থিক অনিয়মই নয়, বরং একাধিক উপাচার্য নারী কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত হয়েছেন।সর্বশেষ ঘটনায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ড. জাকারিয়ার নিয়োগবাণিজ্য সংক্রান্ত একটি ফোনালাপ ফাঁস হয়েছে। সেখানে উপ-উপাচার্যকে বলতেশোনা গেছে, 'তোমরা কয় টাকা দেওয়ার জন্য রেডি'- এই বক্তব্যটি। এর আগেদিনাজপুরে প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের শীর্ষ ব্যক্তি,জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের জনৈক সহকারী অধ্যাপকনারী কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত। জাবি ভিসির 'ঈদ সালামি' তো বহুল আলোচিত (দুইকোটি টাকা)। যদিও তা এখনও প্রমাণিত হয়নি। শিক্ষকরা তাকে কালো পতাকাদেখাচ্ছেন প্রতিদিন। গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ওপ্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সদ্য সাবেক উপাচার্য দুই কোটি টাকার 'গোবর'কেলেঙ্কারিতেও অভিযুক্ত। এ সংক্রান্ত সংবাদ গণমাধ্যমে ছাপা হয়েছে। সেখানকারশিক্ষকরা যে ১৬ দফা দাবি উত্থাপন করেছেন, এর ৩নং দফায় ভিসির বাসায় বিউটিপার্লার তৈরির অভিযোগ রয়েছে। গত বছর ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নারী কর্মচারীতার সন্তানের পিতৃত্ব দাবি করে ভিসির বাসার সামনে অনশন পর্যন্ত করেছিলেন।অথচ উপাচার্য দ্বিতীয়বারের মতো দায়িত্ব পেয়েছিলেন। একসময় ময়মনসিংহ কৃষিবিশ্ববিদ্যালয়ে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত এই ভিসি শুধু গোপালগঞ্জে বাড়িহওয়ার কারণেই কি বারবার ভিসি হয়েছিলেন? সম্প্রতিশাবিপ্রবির উপাচার্যের বিরুদ্ধে একটি শ্বেতপত্র প্রকাশিত হয়েছে। ওইশ্বেতপত্রে তার বিরুদ্ধে ৫৩টি অভিযোগ আনা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে আর্থিকঅনিয়ম, স্বজনপ্রীতি, টিএ-ডিএসহ প্রতি সপ্তাহে পারিবারিক ও ব্যবসায়িক কাজেঢাকায় যাওয়া, নিজে একজন গার্মেন্ট ব্যবসায়ী, ব্যক্তিগত আক্রোশে কিছুশিক্ষকের 'আপগ্রেডেশন' স্থগিত করা ইত্যাদি। একটি জাতীয় দৈনিক উপাচার্যদেরআমলনামা নিয়ে একটি বিস্তারিত অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল কিছুদিনআগে। আর ১৪ জন বর্তমান উপাচার্যের বিরুদ্ধে তদন্তে নেমেছে ইউজিসি। এর মাঝেআছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, গোপালগঞ্জের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়,টাঙ্গাইলে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়; পাবনা,রোকেয়া ও বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয় কী দেখে এদের মনোনয়ন দিয়ে রাষ্ট্রপতির অনুমোদন নিয়েছিল?এদের আয়-সম্পত্তির হিসাব কি এনবিআর খতিয়ে দেখবে? যুবলীগ নেতাদের যদিআমলনামা নেওয়া হয়, যদি তাদের ব্যাংক হিসাব চাওয়া হয়, তাহলে অভিযুক্তভিসিদের ব্যাংক হিসাব চাওয়া হবে না কেন? ব্যাংকার, ব্যবসায়ী, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি সবাই আজ অভিযোগের কাঠগড়ায়।ব্যাংকের টাকা মেরে দিয়ে মালয়েশিয়ায় 'দ্বিতীয় হোম' বানাবেন, ঢাকার বাইরেপ্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি হয়ে ঢাকায় বসে গার্মেন্ট ব্যবসা করবেন,এনজিও চালাবেন, সকালের ফ্লাইটে ক্যাম্পাসে গিয়ে বিকেলের ফ্লাইটে ঢাকায় ফিরেআসবেন- এগুলোও অন্যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা এ ধরনের অন্যায় করবেন-এটা সত্যিই দুঃখজনক। রাজনৈতিক বিবেচনায় উপাচার্য নিয়োগ দিলে এরা এভাবেই পারপেয়ে যান। দুঃখ লাগে, যখন দেখি দু'একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা ছাড়াঅধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরাই উপাচার্যদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে তেমনএকটা সোচ্চার নন। শিক্ষকরা পদোন্নতির নীতিমালা নিয়ে যতটুকু সোচ্চার হয়েছেন,উপাচার্যদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে তারা তেমন সোচ্চার হননি। শিক্ষকরা জাতীয়আদর্শ। তারা যদি তাদের সহকর্মীদের (উপাচার্যরা তো তাদের সহকর্মীই) বিরুদ্ধেএখনই সোচ্চার না হন, তাহলে আগামীতে তারা আর কোনো সম্মান নিয়ে সমাজে বাসকরতে পারবেন না। দেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবলিক) সংখ্যা এখন ৪৫টি। শিক্ষামন্ত্রী তার নিজজেলা চাঁদপুরেও একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করার উদ্যোগ নিয়েছেন।মন্ত্রিসভায় তা অনুমোদিতও হয়েছে। আমার নিজের জেলা পিরোজপুরেও একটিবিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছেন জেলার মন্ত্রী। এসব বিশ্ববিদ্যালয়আদৌ শিক্ষার মান ধরে রাখতে পারবে কি-না, এটা একটা বড় প্রশ্ন এখন। তবে ভয়টাহচ্ছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ তথা নির্মাণ কাজে যে দুর্নীতি হয়, তা আমরাবন্ধ করব কীভাবে? বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এখন শতকোটি নয়, হাজার হাজার কোটিটাকা বরাদ্দ করা হচ্ছে। সরকার এ ক্ষেত্রে উদার। সরকারের আন্তরিকতা নিয়েপ্রশ্ন করা যাবে না। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সিনিয়র শিক্ষক ওবিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সাবেক সদস্য হিসেবে আমি কিছু সুপারিশ রাখতেচাই, যা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে দুর্নীতি কমাতে সাহায্য করবে। এক. রাজনৈতিক বিবেচনায় ও দলীয় কর্মকাণ্ডে যিনি সম্পৃক্ত, তাদের উপাচার্যহিসেবে নিয়োগ না দিয়ে নিরপেক্ষ ও যোগ্য শিক্ষকদের মধ্য থেকে উপাচার্যনিয়োগ। এ ক্ষেত্রে শিক্ষা মন্ত্রণালয় একটি উপাচার্য প্যানেল তৈরি করবে।সেখান থেকে উপাচার্য নিয়োগ দেওয়া হবে। উপাচার্যরা হবেন শুধু এক টার্মেরজন্য। নিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উপাচার্য নিয়োগের অলিখিত বিধান বদলাতে হবে।নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক রাজনীতি করেই শিক্ষকরা উপাচার্য হন। ফলে শিক্ষকরাজনীতি করতে গিয়ে তারা একটা 'বলয়' তৈরি করেন। আর ওই বলয়ের কারণেই উপাচার্যবিশেষ গোষ্ঠীর কাছে জিম্মি হয়ে যান এবং ওই সুবিধাভোগীদের স্বার্থে কাজকরেন। দুই. শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে পিএসসির মতো একটি কমিশন গঠন করতে হবে। তিনপর্বের নিয়োগ প্রক্রিয়া সমর্থনযোগ্য। নিয়োগ প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে আলাদাবোর্ড গঠন করতে হবে। ওই বোর্ডে একাধিক বিশেষজ্ঞ থাকবেন। এই কমিশন ইউজিসিরবাইরে কাজ করবে অথবা ইউজিসির অংশ হিসেবে কাজ করতে পারে। তিন. বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামো নির্মাণে টেন্ডার প্রক্রিয়ায় ই-টেন্ডারেযেতে হবে। এই প্রক্রিয়ায় কোনোভাবেই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি থাকতে পারবেননা। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি থাকা মানেই হচ্ছে একটি স্বার্থান্বেষীগ্রুপের পক্ষ হয়ে কাজ করা। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আমরা কিছুশিখতে পারি। চার. পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু কিছু শিক্ষক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে,কোনো কোনো গবেষণা প্রতিষ্ঠানে এবং টিভিতে 'পূর্ণকালীন' কাজ করেন। পৃথিবীরকোথাও এমনটি চিন্তা করা যায় না। বিশ্ববিদ্যালয়ে আইনের ফাঁকফোকর দিয়ে তারা একাজটি করেন। জাবির উপাচার্য সম্প্রতি সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন,বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন উপ-উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের গাড়ি ও জ্বালানি ব্যবহারকরে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস নেন এবং বেশি সময় দেন। এটা তিনি পারেননা। এটা নৈতিকতার প্রশ্ন। এটার তদন্ত হওয়া বাঞ্ছনীয়। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এক ধরনের 'সংকটের' মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোরঅনিয়ম ও ভাবমূর্তি ফিরিয়ে আনতে সরকার একটি কমিশন গঠন করতে পারে; তারাসরকারকে সুপারিশ করবে। ইউজিসির পক্ষে এটা করা সম্ভব নয়। গোপালগঞ্জবিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের 'নানা কাহিনী' আমাদের এই সিদ্ধান্তে আসতে বাধ্যকরছে যে, এখনই সময়। এখনই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে কঠোরসিদ্ধান্ত নিতে হবে। অধ্যাপক ও রাজনৈতিক বিশ্নেষকtsrahmanbd@yahoo.com
বিশ্ববিদ্যালয়, তারেক শামসুর রেহমান
দেশে ফিরে হুজির ৩৩ নেতার সঙ্গে বৈঠক করেন আতিকুল্লাহ
প্রকাশ: ০৪ অক্টোবর ২০১৯ | ১৩:০৮
নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদ অব বাংলাদেশ (হুজিবি) শীর্ষ জঙ্গিনেতা আতিকুল্লাহ ওরফে আসাদুল্লাহ ওরফে জুলফিকার দেশে ফিরেই হুজির অন্তত ৩৩পুরনো নেতার সঙ্গে বৈঠক করেন। ওই নেতাদের মধ্যে অনেকে এখন নিজেদের পরিচয়গোপন করে কেউ ব্যবসা করছেন, কেউ নানা প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছেন, আবার কেউসমাজসেবক হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন। জঙ্গি আতিকুল্লাহ তাদের নিয়ে নতুন করেসংগঠনকে চাঙ্গা করার চেষ্টা করছিলেন। গত বুধবার ঢাকার খিলক্ষেত এলাকা থেকে দুর্ধর্ষ ওই জঙ্গিকে তিন সহযোগীসহগ্রেফতারের পর বৃহস্পতিবার তাদের চার দিন করে রিমান্ডে নেয় ডিএমপির জঙ্গিদমন ইউনিট কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি)।গতকাল শুক্রবার প্রথম দিনেই আতিকুল্লাহ বেশকিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেনবলে সিটিটিসি সূত্র জানিয়েছে।কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের এক কর্মকর্তা সমকালকে জানিয়েছেন, তাদের কাছে তথ্যছিল যে মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি আতিকুল্লাহ বহু বছর ধরে স্ত্রী-সন্তান নিয়েদুবাইয়ে বসবাস করে আসছিলেন। গত মার্চে তিনি সাংগঠনিক কাজেই দেশে ফেরেন।এরপর ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় হুজিবির পুরনো নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।তাদের প্রায় সবাই আফগানিস্তানে যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। এরই মধ্যে হুজিরপুরনো অন্তত ৩৩ জনের সঙ্গে আতিকুল্লাহ বৈঠক করেন। তাদের বিষয়ে বিস্তারিতখোঁজ নেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশে হুজির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এই জঙ্গিবর্তমানে সংগঠনটির আন্তর্জাতিক শাখার দেখভালের দায়িত্বে ছিলেন। ধারণা করাহচ্ছে, এই কারণে তার সঙ্গে আন্তর্জাতিক জঙ্গি নেতাদের সঙ্গেও যোগাযোগ থাকতেপারে।সংশ্নিষ্ট সূত্র বলছে, আতিকুল্লাহ বিদেশে বসে এতদিন হুজির পুরনো সদস্যদেরবিরুদ্ধে দায়ের মামলাগুলোর খরচ চালিয়ে আসছিলেন। হুজির সদস্য অনেক দরিদ্রপরিবারকে আর্থিক সুবিধাও দিয়ে আসছিলেন। শুধু তাই নয়, মধ্যপ্রাচ্য থেকেকক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতেও নিজেদের অন্তত দুটি এনজিওর মাধ্যমেটাকা পাঠাচ্ছিলেন আতিকুল্লাহ। এনজিওর আড়ালে রোহিঙ্গাদের জঙ্গিবাদে নেওয়ারপাঁয়তারাও করছিলেন তিনি। তবে ওই এনজিওর নাম জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেসূত্র।কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের উপ-কমিশনার সাইফুল ইসলাম সমকালকে বলেন, জঙ্গিআতিকুল্লাহ ও তার সঙ্গে গ্রেফতার হওয়া অপর দুই জঙ্গি বোরহান উদ্দিনরাব্বানী ও মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন ওরফে শামীমকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এরইমধ্যে তাদের কাছ থেকে কিছু তথ্য মিলেছে। এসব তথ্য যাচাই করা হচ্ছে।জঙ্গি দমনে যুক্ত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সংশ্নিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, গ্রেফতারআতিকুল্লাহ পাকিস্তানে পড়ালেখা করেছেন। নব্বই দশকে বাংলাদেশ থেকে যাদেরনেতৃত্বে একটি গ্রুপ আফগানিস্তানে যুদ্ধে গিয়েছিল তাদের মধ্যে অন্যতম নেতাছিলেন আতিকুল্লাহ। তার নেতৃত্বে অন্তত ১০০ 'মুজাহিদ' আফগানিস্তানে যুদ্ধেঅংশ নেয়। দুর্ধর্ষ এই জঙ্গি একে-৪৭ থেকে শুরু করে ভারী অস্ত্র চালানোয় বেশপারদর্শী। এ ছাড়া বিস্ম্ফোরক বিশেষজ্ঞ হিসেবেও হুজিতে তিনি পরিচিত ছিলেন।আফগান যুদ্ধ শেষে তিনি ভারী অস্ত্র নিয়ে দেশে ঢুকেছিলেন। আফগানিস্তানেযুদ্ধের সময়ে মোল্লা ওমর এবং ওসামা বিন লাদেনের মতো আন্তর্জাতিক জঙ্গিনেতাদের সঙ্গেও বৈঠক হয়েছে তার।সিটিটিসির এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদে আতিকুল্লাহজানিয়েছেন ঝিমিয়ে পড়া হুজি সদস্যদের চাঙ্গা করার মিশন নিয়ে তিনি বাংলাদেশেএসেছিলেন। দেশে এই পর্যন্ত কার কার সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন, কী পরিকল্পনাকরেছেন- এসব বিষয়ে তার কাছ থেকে তথ্য নেওয়ার চেষ্টা চলছে। দেশে কোনোনাশকতার পরিকল্পনা ছিল কি-না- তাও জানার চেষ্টা চলছে।
আতিকুল্লাহ
'গাছ কখনও বেইমানি করে না'
প্রকাশ: ০৪ অক্টোবর ২০১৯ | ১৩:০৯ | আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০১৯ | ১৩:১০
'আঁরার পোরাছাড়ে পড়ার লাই অ্যাঁই গাছ আরার সম্বল,' আঞ্চলিকতা থেকে খাঁটিবাংলায় এর মানে দাঁড়ায়, 'আমার সন্তানদের পড়াশোনার জন্য এই গাছই আমাদেরসম্বল।' নাইক্ষ্যংছড়ি কেন্দ্রীয় মহাশ্মশানে দাঁড়িয়ে নিজের গড়া বাগান দেখিয়েকথাগুলো বলছিলেন ৪৮ বছর বয়সী নাসরিন আক্তার। এই গাছ বিক্রির অর্থ থেকেইনিজের ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার খরচ জুগিয়েছেন তিনি এবং তার স্বামী ৫৫ বছর বয়সীফারুক আহমেদ। নাইক্ষ্যংছড়ি কেন্দ্রীয় মহাশ্মশান এখন অনেক বেশি সবুজ। এই শ্মশানের তিন একরজমিতে গড়ে উঠেছে নাসরিনের বাগান । রয়েছে আকাশমণি, একাশিয়া। চারাগুলো বেড়েওঠার সঙ্গে সঙ্গে বেড়ে উঠেছে নাসরিন আক্তারের স্বপ্নও। ফারুক আহমেদের জীবিকা মূলত কৃষি। নিজের স্বল্প আয়ে সংসার চালাতে হিমশিমখাচ্ছিলেন তিনি। বিয়ের পর কক্সবাজার থেকে পাশের উপজেলা রামুতে স্বামীর বাড়িচলে আসেন নাসরিন আক্তার। এরপর থেকেই নিজেকে উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলারসংগ্রামে লিপ্ত হন তিনি। তবে কিছু উদ্যোগ শুরুতেই ভেস্তে যায়। এক সময় বনায়নতাকে নতুন পথ দেখায়। ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো (বিএটি) বাংলাদেশেরবৃক্ষরোপণ কর্মসূচির কথা শুনেছিলেন প্রতিবেশীর কাছে। তাদের কাছ থেকে দুই হাজার চারা নিয়ে বুনলেন নতুন স্বপ্ন। গত সেপ্টেম্বরের এক রোদেলা দুপুরে নাইক্ষ্যংছড়িতে নিজের বাগান ঘুরেদেখাচ্ছিলেন নাসরিন আক্তার। তিনি বলেন, '২০০৬ সালে বিএটির কাছ থেকেবিনামূল্যে গাছের চারা পাই। তাদের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা বনায়নের বিষয়েপ্রাথমিক ধারণা দেন। সেই থেকে শুরু। এরপর আমার সন্তানদের সঙ্গে সঙ্গেগাছগুলো বড় হতে লাগল। এই বনায়নই আমাকে দরিদ্রতার জাঁতাকল থেকে মুক্তিদিয়েছে। এ কাজে সবসময় স্বামীর সহযোগিতা পেয়েছি।' তিনি বলেন, 'কখনও ভাবিনি সন্তানদের সুশিক্ষিত হিসেবে গড়ে তুলতে পারব। এখানেজীবিকা হিসেবে সাধারণ মানুষ একসময় সংরক্ষিত বনের গাছ কাটত। এখন ধীরে ধীরেসেটা বন্ধ হচ্ছে। আর ব্যক্তিগত বনের যে গাছ কাটা হয়, তার কয়েকগুণ বেশিগাছের চারা লাগানো হয়।' নাসরিন আক্তার জানান, তার বড় ছেলে ইসলামীবিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকে পড়ছেন। দুই মেয়ের একজন উচ্চ মাধ্যমিকের গণ্ডিপেরিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য লড়ছেন এবং আরেকজন দশম শ্রেণিতে। আঙুলের কড়ের হিসাব গুণে আর কিছুক্ষণ ভেবে নাসরিন জানালেন, এখন তার তিনটিবাগান। যার মধ্যে জারুলিয়াছড়িতে রয়েছে ১০ একর এবং নাইক্ষ্যংছড়িতে ২টি প্লটেমোট ৫ একর। এসব বাগানে প্রায় তিন হাজার সেগুন গাছ রয়েছে। এ ছাড়া কলা, আদা,লেবু, আকাশমণি, একাশিয়া গাছও আছে। কাঠ গাছগুলো সাত বছরের পর থেকে বিক্রিরউপযুক্ত হয়। এগুলো থেকে আসবাব তৈরির মূল্যবান কাঠ পাওয়া যায়। আর প্রতিবছরগাছ ছাঁটা ও অতিরিক্ত গাছ কাটার ফলে পাওয়া যায় লাকড়ি। এই লাকড়ি পরিবারেরজ্বালানি চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি বিক্রি করে অর্থ পাওয়া যায়। গত দুই বছরেই এই গাছ থেকে আড়াই লাখ টাকা এসেছে নাসরিনের। তিনি বলেন,'একবারে তো সব গাছ কাটা যায় না। যখন প্রয়োজন হয় এবং উপযুক্ত হয় তখনই বিক্রিকরি। আবার প্রতি বর্ষাতেই নতুন করে গাছ লাগাই।' এই গাছ শুধু যে নাসরিনআক্তার এবং ফারুক আহমেদকে স্বাবলম্বী করেছে, তাই নয়। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য(এসডিজি) অর্জনে দারিদ্র্য বিলোপ করতে বাংলাদেশ সরকারের যে অগ্রযাত্রা,নাসরিনের বনায়ন ভূমিকা রাখছে সেখানেও। দুপুর গড়িয়ে তখন বিকেল। বর্ষার পর গাছের পাতায় শরতের আনাগোনা। নাসরিনআক্তারের হাসিমাখা মুখে জড়িয়ে আছে গাছের সতেজ সবুজের মায়া। বিকেলের তেরছাআলোতে সেই মায়া আরও উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। বাগান ছেড়ে আসার সময় নাসরিন আক্তারনিজ বাসায় আপ্যায়ন করলেন নিজের বাগানের ফল দিয়ে। বিদায় জানানোর সময় বললেন,'ভাই, মানুষ বেইমানি করতে পারে, গাছ কখনও করে না'।
বনায়নের সাফল্যগাথা
শতক লাখ টাকায় বিক্রি হচ্ছে গোমতী বাঁধের জমি
প্রকাশ: ০৪ অক্টোবর ২০১৯ | ১৩:১১
আড়াই শতক, আড়াই লাখ। এ হিসাবে লাখ টাকায় শতক। দরিদ্র দিনমজুর রফিকুল ইসলাম এদামেই কিনেছেন বেড়িবাঁধের জমি। স্ট্যাম্পে লিখিত আকারে এ জমির দখল বুঝিয়েদেওয়া হয়েছে তাকে। এভাবে স্ট্যাম্পে লিখিত থাকলেই সরকারি জায়গার মালিক হওয়াযায় কি-না, এ প্রশ্নের উত্তর জানা নেই তার। তবে পরিবার নিয়ে মাথা গোঁজারঠাঁই হয়, এতেই খুশি সে। গোমতী নদীর বাঁধের কুমিল্লা সদর উপজেলার চানপুরবেইলি ব্রিজের এক-দুইশ' গজ দূরেই পাশাপাশি ছয় পরিবারের বাস। তারাও একইভাবেদখলদার। চানপুরের রাজা মিয়া টাকা নিয়ে স্ট্যাম্প করে দিয়েছে, দখলও বুঝিয়েদিয়েছে। ছয় পরিবার মিলে একটা সমাজও হয়েছে। এক বছর আগে তারা স্ট্যাম্পকরেছেন। তবে স্ট্যাম্পে লেখা শর্ত, এ জায়গা নিজের বলে কেউ দাবি করতে পারবেনা। সরকার চাইলেই ছেড়ে দিতে হবে। এভাবেই গোমতী নদীর বাঁধে গড়ে উঠেছে অবৈধদখল-বসতি। বাঁধের চানপুর এলাকার স্ট্যাম্পদাতা রাজা মিয়াকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। পাশেরপাঁচথুবী ইউনিয়নের বাসিন্দা মিজানুর রহমান দোকান করতে বাঁধের জায়গা দখলনিয়েছেন। এলাকার বাবুল মিয়া দখল বুঝিয়ে দিয়েছে। একেবারে বাঁধসংলগ্ন হওয়ায়দর বেশি দিতে হয়েছে শতকে দেড় লাখ টাকা। বাঁধের পাশের জায়গা সমতল করতে ভরাটকরে নিতে হয়েছে নিজ খরচে। অবশ্য স্ট্যাম্পদাতা বাবুল মিয়া অভিযোগ অস্বীকারকরেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড এমন তিন হাজার ১৭ অবৈধ দখলদারের তালিকা করেছে।অবৈধ দখলের স্থান চিহ্নিত হয়েছে ঠিকই; কিন্তু আড়ালে থেকে গেছে টাকারবিনিময়ে দখল বুঝিয়ে দেওয়া দাতাদের নাম। গত ২২ সেপ্টেম্বর কুমিল্লা জেলাপ্রশাসক কার্যালয়ে গোমতী নদী রক্ষা নিয়ে বৈঠক হয়। বৈঠকে আসা পানি উন্নয়নবোর্ডের দুই কর্মকর্তা জানান, উচ্ছেদ অভিযানে যেতে তিন হাজার ১৭ জনদখলদারের তালিকা জেলা প্রশাসকের কাছে জমা দিয়েছেন তারা। বাঁধের দু'পাশে সংযোগ সড়ক হওয়ায় যানবাহন চলাচল ও মানুষের সমাগম বেড়েছে।বেশক'টি ব্রিজ নির্মাণ হওয়ায় দু'পাশের মানুষের যাতায়াত আরও বেড়ে গেছে।ব্রিজে ও বাঁধ সড়কে দৃষ্টিনন্দন বাতি স্থাপন করায় বিকেল-সন্ধ্যায় বেড়াতেআসছেন মানুষ। তাই গড়ে তোলা হচ্ছে অবৈধ দোকানপাটও। সরেজমিন দেখা যায়,কুমিল্লার টিক্কারচর ব্রিজ থেকে আলেখাঁরচর আমতলী ব্রিজ পর্যন্ত নদীরদু'পাশের বাঁধে ছোট-বড় কাঁচা-পাঁকা ঘরবাড়ি ও বাঁধের ওপর দোকানপাটনির্মাণ-দখলের হিড়িক চলছে। কেউ টিনশেডের ঘর নির্মাণ করে বসতি শুরু করেছে,কেউ আবার কাঁচা-পাকা ঘর আর কেউ ইটের ওপরে টিন দিয়ে সেমিপাকা ঘর নির্মাণ করেবসতি নির্মাণ করেছে। কেউ বাঁশের বেড়ার সীমানা দিয়ে ঘিরে নিয়েছে। শাকসবজিফলাচ্ছে। আবার কেউ বসত নির্মাণের সঙ্গে সঙ্গে মাটি ভরাট করে দোকান নির্মাণকরে ব্যবসা চালাচ্ছে। নদীরক্ষা বাঁধ নির্মাণ করার সময় সরকার যাদের কাছ থেকে জায়গা ক্রয় করেছে,তারা এখনও দখল ছাড়েনি। শুধু তাই নয়, ওই দখলদারদের অনেকেই লাখ-দেড় লাখ টাকায়শতক বুঝিয়ে দিচ্ছে। সচেতন নাগরিক কমিটির (সনাক) সাবেক সভাপতি শাহ মো. আলমগীর খান বলেন,অবৈধভাবে চর কেটে, মাটি-বালু উত্তোলন, নদীরক্ষা বাঁধে বসত-দোকান নির্মাণ ওচর দখল করে বাড়িঘর নির্মাণে সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে গেছে গোমতীর। হুমকির মুখেপড়েছে নদীরক্ষা বাঁধ ও তার পরিবেশ। বলা চলে, অবৈধ বসতির কারণে নদীর চর-বাঁধএখন গ্রামে পরিণত হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল লতিফ বলেন, গোমতীর উৎসভারতে। কুমিল্লায় প্রবেশ করেছে কটক বাজার সীমান্ত দিয়ে। প্রায় ১৪৪কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে দাউদকান্দির মেঘনায় গিয়ে মিলেছে নদীটি। দু'পাড়ে তিনহাজার ১৭ জন অবৈধ দখলদারের তালিকা জেলা প্রশাসকের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে।এসব দখলদার বাঁধের বিভিন্ন অংশ কেটে ফেলছে। এতে বাঁধ সরু ও দুর্বল হয়েযাচ্ছে। খুব শিগগির আমরা উচ্ছেদ অভিযান শুরু হবে। জেলা প্রশাসক আবুল ফজল মীর জানান, দখলদারদের উচ্ছেদে পানি উন্নয়ন বোর্ডতালিকা দিয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড যখনই চাইবে, উচ্ছেদে যেতে পারবে। আমরাসবধরনের সহযোগিতা করবো।
বাঁধের জমি
চট্টগ্রামে শামীমের এক ডজন প্রকল্পের কী হবে
প্রকাশ: ০৪ অক্টোবর ২০১৯ | ১৩:১২
বৃহত্তর চট্টগ্রামে অনিশ্চয়তায় পড়ে গেছে জি কে শামীমের ঠিকাদারিপ্রতিষ্ঠানের চলমান উন্নয়ন প্রকল্পগুলো। চট্টগ্রামের চার যুবলীগ নেতাকেদিয়ে জি কে শামীমের 'বাগিয়ে নেওয়া' হাজার কোটি টাকার অন্তত এক ডজন প্রকল্পরয়েছে। এসব প্রকল্প চলমান থাকা অবস্থায় ক্যাসিনো কেলেঙ্কারির ঘটনায় তিনিগ্রেফতার হওয়ায় প্রকল্পগুলোর কাজও অনেকটা বন্ধ হয়ে গেছে।চট্টগ্রামে জি কে শামীমকে প্রকল্প বাগিয়ে নিতে সহযোগিতা করেন এখানকারইকয়েকজন প্রভাবশালী যুবলীগ ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা। প্রকল্পগুলোতে তাদের কারওকারও অংশীদারিত্বও রয়েছে। জি কে শামীমের মালিকানাধীন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানজিকেবিপিএলের সহযোগী হিসেবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে চট্টগ্রামে বিভিন্নপ্রকল্প বাস্তবায়ন করছে চট্টগ্রামের চন্দনাইশ আসনের সংসদ সদস্য নজরুলইসলামের ভাই ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা জসিম উদ্দিন মন্টুর 'দেশ উন্নয়ন',চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শাজাহান চৌধুরীর'ফ্রেন্ডস ইন্টারন্যাশনাল', মহানগর যুবলীগ নেতা দিদারুল আলমের 'রয়েলঅ্যাসোসিয়েটস' এবং যুবলীগ নেতা মুমিনুল হকের 'ডেলটা ইঞ্জিনিয়ারস অ্যান্ডকনসোর্টিয়াম'। জি কে শামীমের সঙ্গে তাদের দহরম-মহরম সম্পর্কও ছিল। অর্থেরবিনিময়ে প্রকল্প বাগিয়ে নিয়ে ইচ্ছেমতো কাজ করছিলেন তারা। এ কারণে চলমানপ্রকল্পগুলোর মান যাচাই করা দরকার বলে মনে করছেন সংশ্নিষ্ট বিশেষজ্ঞরা।চট্টগ্রাম গণপূর্ত বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চারটি প্রকৌশল ও রক্ষণাবেক্ষণবিভাগের আওতায় বৃহত্তর চট্টগ্রামে ৬টি প্রকল্পের কাজ করছে জি কে বিল্ডার্সপ্রাইভেট লিমিটেড (জিকেবিপিএল)। এরমধ্যে গণপূর্ত চট্টগ্রাম-১ বিভাগের আওতায়বাণিজ্যিক এলাকা আগ্রাবাদ সিজিএস কলোনিতে ৪৮২ কোটি টাকায় জরাজীর্ণ ১১টিভবন ভেঙে ৯টি বহুতল আবাসিক ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। সরকারিকর্মকর্তা-কর্মচারীদের আবাসনের ব্যবস্থা করতে ৯টি ভবনে ৬৮৪টি ফ্ল্যাটনির্মাণ করা হচ্ছে। বর্তমানে প্রকল্পের কাজ চলছে। এছাড়া ৪৭৬ কোটি টাকাব্যয়ে চট্টগ্রাম নগরীতে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ফ্ল্যাট ওডরমিটরি নির্মাণ করা হচ্ছে। 'চট্টগ্রাম শহরে পরিত্যক্ত বাড়িসমূহে সরকারিআবাসিক ফ্ল্যাট ও ডরমিটরি ভবন নির্মাণ' প্রকল্পের আওতায় এসব ফ্ল্যাট ওডরমিটরি নির্মাণ করা হচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে নগরীর পাঁচলাইশ আবাসিক এলাকার১১৪ নম্বর ও ৫২ নম্বর বাড়িতে ৫২ কোটি ৭২ লাখ ৮৫ হাজার ৬৯৯ টাকার প্যাকেজেরকাজ শুরু হয়েছে। গত বছরের মার্চ থেকে প্রকল্পের কাজ চলছে। এই দুটি ভবননির্মাণ জি কে শামীমের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে রয়েছেন সাংসদ নজরুলইসলামের ভাই জসিম উদ্দিন মন্টুর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দেশ উন্নয়নও। অন্যদিকেচট্টগ্রাম শহর ছাড়াও চবির দুটি ভবননির্মাণ করছে জি কে শামীমের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। চবির নতুন কলা ভবননির্মাণের ৭৫ কোটি টাকার টেন্ডার জালিয়াতি করে কাজ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগরয়েছে। তদন্ত করে অনিয়মের প্রমাণও পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এছাড়াপর্যটন নগরী কক্সবাজার এবং পার্বত্য জেলা বান্দরবানেও কয়েকটি প্রকল্পবাস্তবায়ন করছেন জি কে শামীম। বান্দরবানের চিম্বুক এলাকার ছাইঙ্গ্যাপাড়ায়চলছে 'সিলভান ওয়াই রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা' নির্মাণকাজ। প্রায় ৫০ একরজায়গাজুড়ে রিসোর্টটি নির্মাণে বিনিয়োগ করা হয়েছে প্রায় ২০০ কোটি টাকা।অভিযোগ রয়েছে, চট্টগ্রামে কাজ পেতে এখানকার কয়েকজন প্রভাবশালী ঠিকাদারেরসহযোগিতা পেয়েছেন জি কে শামীম। অবসরে যাওয়া গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধানপ্রকৌশলী রফিকুল ইসলামসহ সংশ্নিষ্ট প্রকৌশলীদের কোটি কোটি টাকা উৎকোচ দিয়েচট্টগ্রামের কাজও বাগিয়ে নেন তিনি। জি কে শামীম ক্যাসিনো কেলেঙ্কারিতে ধরাপড়ার পর নিজেদের গুটিয়ে নিয়েছেন তার চট্টগ্রাম অংশের সহযোগীরা।চট্টগ্রামের পাঁচলাইশে সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য ফ্ল্যাট নির্মাণ প্রকল্পেজি কে শামীমের সঙ্গে অংশীদার ভিত্তিতে ঠিকাদারি কাজ করছে জসিম উদ্দিনমন্টুর দেশ উন্নয়ন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানও। জানতে চাইলে জসিম উদ্দিন মন্টুসমকালকে বলেন, 'সাধারণত বড় কোনো প্রকল্প হলে কোনো ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান একাকাজ করে না। প্রকল্পে বিভিন্ন মানদণ্ড থাকে। জি কে শামীমের বড় ফার্ম রয়েছে।আমাদের প্রকল্পে মূলত তার প্রতিষ্ঠান থেকে টেকনিক্যাল সাপোর্ট নেওয়াহচ্ছে।' এক প্রশ্নে জবাবে তিনি বলেন, 'প্রভাব খাটিয়ে কিংবা অর্থের বিনিময়েকাজ বাগিয়ে নেওয়ার বিষয়টি অবান্তর। কারণ, আমরা প্রতিযোগিতামূলক টেন্ডারেঅংশ নিয়েছি এবং যথাযথ নিয়ম মেনে কাজ পেয়েছি। ফলে আমাদের প্রকল্প নিয়েঝামেলা হওয়ার কথা নয়। অনেকেই উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মনগড়া অভিযোগ করছেন, যাসত্য নয়।'জি কে শামীমের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কীভাবে কাজ পেয়েছে এবং কারা এর সঙ্গেজড়িত তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী শ. ম.রেজাউল করিম। ইতিমধ্যে সচিবালয়ে তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, শামীমেরপ্রতিষ্ঠান কোনো প্রকল্পের বিপরীতে অগ্রিম বিল নেওয়ার ঘটনা ঘটলে তার অন্যপ্রকল্পের বিলের সঙ্গে সমন্বয় করা হবে।
চট্টগ্রামে শামীমের এক ডজন প্রকল্পের কী হবে
তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীর 'প্রথম শ্রেণি'র দুর্নীতি
প্রকাশ: ০৪ অক্টোবর ২০১৯ | ১৩:১৪
ছারোয়ার হোসাইন একজন তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী। নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধীনবাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) 'সহকারী' পদেকর্মরত এই তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীই এখন কোটি টাকার সম্পদের মালিক। যারপুরোটাই দুর্নীতি-অনিয়মের মাধ্যমে অর্জিত বলে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে। বিআইডব্লিউটিএর মেয়াদোত্তীর্ণ সিবিএর কার্যকরী সভাপতি ছারোয়ারের সম্পদেরতালিকায় রয়েছে বেনামে বাড়ি ও ফ্ল্যাট, প্লট, গাড়ি এবং জাহাজ। স্ত্রী ওআত্মীয়-পরিজনকে চাকরি দিয়ে বিআইডব্লিউটিএতে গড়ে তুলেছেন নিজস্ব বলয়। ঘাটইজারা, নিয়োগ ও বদলি বাণিজ্য করেও গড়ে তুলেছেন সম্পদের পাহাড়। সংস্থারবিভিন্ন খাতের অর্থ আত্মসাতের সুনির্দিষ্ট অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এ অবস্থায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ছারোয়ার হোসাইনের নানাদুর্নীতি-অনিয়মের তদন্ত করছে। দুদকে নতুন করে জমা পড়েছে আরও অভিযোগ।নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় থেকেও তার বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতি ও অনিয়ম তদন্ত করাহয়েছে। এর পরও মন্ত্রণালয় ও বিআইডব্লিউটিএর ঊর্ধ্বতন কয়েকজন কর্মকর্তারপ্রশ্রয়ে তার অপকর্ম অব্যাহত থাকায় ক্ষুব্ধ সংস্থার সাধারণ কর্মচারীরাও। সূত্রমতে, প্রায় ২৬ বছর ধরে বিআইডব্লিউটিএতে কর্মরত ছারোয়ার হোসাইন এক সময়বিএনপির কট্টর সমর্থক হিসেবে পরিচিত ছিলেন। বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট সরকারক্ষমতায় থাকতে নিজেকে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিশেষ সহকারী শিমুলবিশ্বাসের লোক হিসেবে পরিচয় দিতেন তিনি। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর শ্রমিকলীগের একজন শীর্ষনেতার সঙ্গে আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে তিনি তারদুর্নীতি-অনিয়ম অব্যাহত রাখেন। সে সময় বিআইডব্লিউটিএ এমপ্লয়িজ ইউনিয়নেরসদরঘাট শাখা চেয়ারম্যানের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। বিআইডব্লিউটিএশ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়ন ২০১৬ সালের জুনে সংস্থার সিবিএ হিসেবে কর্তৃপক্ষেরস্বীকৃতি পেলে এর সহসভাপতি হন তিনি। পরে সিবিএর কার্যকরী সভাপতি নুরুল আমীনসরকার মারা গেলে ওই পদে দায়িত্ব দেওয়া হয় তাকে। এরপর থেকেই সিবিএ সভাপতিআবুল হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলামসহ অন্য নেতাদের যোগসাজশেদুর্নীতি-অনিয়ম চালিয়ে আসছেন। যদিও সিবিএর দু'বছরের মেয়াদ আরও প্রায় দেড়বছর আগেই শেষ হয়ে গেছে। সব তারা তারাই :ছারোয়ার হোসাইন প্রভাব খাটিয়ে স্ত্রীসহ ৭০-৮০ জননিকটাত্মীয়কে বিআইডব্লিউটিএতে চাকরি দিয়েছেন। স্ত্রী কামরুন্নাহার মলিবিআইডব্লিউটিএর প্রধান কার্যালয়ের প্রকৌশল বিভাগে 'ট্রেসার' পদে কর্মরত। এছাড়া তার আপন ফুফাতো ভাই আব্বাস আলী ও আপন খালাতো ভাই আশ্রাব সংস্থার হিসাববিভাগে; আপন শ্যালক জাহাঙ্গীর, চাচাতো শ্যালক কাইয়ুম, চাচাতো ভাই সামশুলআলম খান ও আপন খালু আবদুল জলিল বন্দর বিভাগের 'শুল্ক্ক আদায়কারী';নিকটাত্মীয় আনিসুর রহমান 'শুল্ক্ক প্রহরী'; ভাবি নাজমা বেগম ড্রেজিংবিভাগে; আপন ভাস্তিজামাই তাইজু ড্রেজিং বিভাগের 'ট্রেসার'; আপন খালাতো ভাইআনু নৌনিট্রা বিভাগের 'সহকারী'; আপন মামা ইউসুফ আরিচা শাখায়; চাচাতো শ্যালককাইয়ুমের স্ত্রী রোমেনা আখতার হিসাব বিভাগে 'নিম্নমান সহকারী কামকম্পিউটার অপারেটর'; চাচাতো ভাই নজরুল ইসলাম 'গাড়িচালক' এবং নিকটাত্মীয়মোজাফফর 'অফিস সহায়ক' পদসহ অন্যান্য আত্মীয়স্বজন নানা পদে কর্মরত রয়েছেন।এসব নিকটাত্মীয়ের মাধ্যমে ছারোয়ার বিআইডব্লিউটিএতে একটা বলয় সৃষ্টি করেরেখেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। বেনামে এত সম্পদ :অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল সম্পদ গড়ে তুললেও দুদকেরমামলা-মোকদ্দমা থেকে বাঁচতে চতুর ছারোয়ার এসব সম্পদের বেশিরভাগই বেনামেকরিয়েছেন। বিভিন্ন আত্মীয়স্বজনসহ ঘনিষ্ঠদের নামেই এসব অবৈধ সম্পদের পাহাড়গড়ে তুলেছেন তিনি। বেনামে গড়ে তোলা ছারোয়ারের সম্পদের মধ্যে রয়েছে তার যুক্তরাজ্য প্রবাসীশ্যালিকা নূরুন্নাহার পারভীনের নামে থাকা রাজধানীর খিলগাঁও তিলপাপাড়ার ২২নম্বর সড়কের ৬৪১/এ নম্বর বাড়ির সপ্তম তলার একটি ফ্ল্যাট। ৬৫ লাখ টাকা দিয়ে১৬০০ বর্গফুটের এই ফ্ল্যাটটি শ্যালিকার নামে ক্রয় করার পর ২০১৬ সাল থেকেসেখানে সপরিবারে বসবাস করছেন তিনি। শ্যালিকার নামে রাজধানীর মাদারটেক ওবেইলি রোডে রয়েছে তিনটি এবং খিলগাঁও রেন্ট-এ কারে ভাড়ায় দেওয়া একটিপ্রাইভেট কার ও দুটি হায়েস মাইক্রোবাস মিলিয়ে তিনটি গাড়িও রয়েছে। এ ছাড়াছারোয়ার টাঙ্গাইল শহরে তার মা রমিছা খাতুনের নামে কিনেছেন একটি বাড়ি।তবে ছারোয়ার সবচেয়ে বেশি অর্থ লগ্নি করেছেন জাহাজ ব্যবসায়। এক্ষেত্রেওচতুরতার আশ্রয় নিয়ে তার 'বিশেষ সহকারী' হিসেবে পরিচিত বিআইডব্লিউটিএরনৌনিট্রা বিভাগের নিম্নমান সহকারী এমদাদুল হক সুমনের স্ত্রী সুমনা হকেরনামে একটি জাহাজ রেজিস্ট্রেশন করিয়েছেন তিনি। যার নাম 'এমভি সুমনা হক-১',রেজিস্ট্রেশন নম্বর:এম-০১-২০৪৫, কোম্পানির নাম :মেসার্স সুমনা করপোরেশন। এইজাহাজটির নির্মাণ ব্যয় হয়েছে প্রায় ১০ কোটি টাকা। আরেকটি জাহাজ 'এমভিমর্নিং ভয়েজ-১' এর মালিকানা প্রবাসী শ্যালিকা নূরুন্নাহার পারভীনের নামেকরিয়েছেন তিনি। এই জাহাজটির রেজিস্ট্রেশন নম্বর :এম-০১-১৫৯৩, কোম্পানির নাম:লিজেন্ড-১০ শিপিং লাইন্স (প্রা.) লি.। বেনামে গড়ে তোলা ছারোয়ারের এসবকোম্পানির নামে রাজধানীর পুরানা পল্টনের ৫৫/বি নোয়াখালী টাওয়ারের দশম তলায়সুবিশাল অফিসও রয়েছে। এ ছাড়া তিনটি বালুবাহী জাহাজ ও তিনটি অয়েল ট্যাঙ্কারএবং নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দরের বিপরীতে খন্দকার শিপইয়ার্ডেও তার অংশীদারিত্বরয়েছে। বিআইডব্লিউটিএর প্রভাবশালী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান 'এসএস রহমান ট্রেডার্স'-এরসঙ্গেও ছারোয়ারসহ সংস্থার কয়েকজন বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তা-কর্মচারীঅংশীদার হিসেবে যুক্ত রয়েছেন। এ প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী রকিবুল আলমদীপু রাজধানীর হাজারীবাগ এলাকায় তুরাগ নদের চ্যানেল দখল করে 'আমিন-মোমিনহাউজিং লিমিটেড' নামে অবৈধ হাউজিং প্রকল্প গড়ে তুলেছিলেন। যেখানেছারোয়ারেরও প্রায় ছয়টি প্লট কেনা ছিল। অবশ্য ঢাকার পার্শ্ববর্তী তিনটি নদীরঅবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযানকালে চলতি বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি অবৈধ হাউজিংপ্রকল্পটি সম্পূর্ণ গুঁড়িয়ে দিয়ে তুরাগ নদের চ্যানেলটিকে আদিরূপে ফিরিয়েদেওয়া হয়েছে। নিয়োগ, বদলি, ঘাট ইজারা বাণিজ্য এবং অর্থ আত্মসাৎ :তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীহয়েও সংস্থার নিয়োগ, বদলি ও ঘাট ইজারা নিয়ন্ত্রণ করেন ছারোয়ার। সদরঘাটনদীবন্দরে ৭০টি শুল্ক্ক আদায়কারীর পদ থাকলেও মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়েঅতিরিক্ত ২২ জনকে দিয়ে শুল্ক্ক আদায় করাচ্ছেন তিনি। অথচ অন্যনদীবন্দরগুলোতে শুল্ক্ক আদায়কারীর পদে সংকট রয়েছে। সদরঘাটের শুল্ক্কআদায়কারীদের বদলি ও অন্যদের পদায়ন করেও লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন বলেওঅভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে সংস্থার বিভিন্ন পদে শতাধিক কর্মচারীকে চাকরিপাইয়ে দেওয়া এবং কর্মচারীদের ঢাকার বাইরে বদলির ভয় দেখিয়ে কিংবা অনেককেসুবিধাজনক স্থানে পোস্টিং করিয়ে দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।সম্প্রতি জনপ্রতি এক লাখ টাকা করে নিয়ে সংস্থার এমএমই শাখার 'গ্রিজার' পদেকর্মরত ১৬ জন নৌ-কর্মচারীর (ইঞ্জিন ক্রু) বদলির একটি তালিকা কর্তৃপক্ষকেদিয়েছেন ছারোয়ারসহ সিবিএ নেতারা। এই সুপারিশ বাস্তবায়ন এখন প্রক্রিয়াধীন। অভিযোগ রয়েছে, নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দরের তারাব পয়েন্ট এবং খানপুর আরসিসি জেটি ওসারুলিয়া পয়েন্টসহ বিভিন্ন ঘাট থেকেও টোল আদায়ের অর্থ থেকে নিয়মিত মোটাঅঙ্কের টাকা নিয়ে থাকেন ছারোয়ার। এছাড়া সুনামগঞ্জের ছাতকে ঘাট ইজারা দেওয়ানিয়ে ইজারাদারের থেকে প্রায় ২০ লাখ টাকা নিয়েছেন তিনি।চলতি বছরের মার্চ ও এপ্রিলে রাজধানীর মতিঝিলের বিআইডব্লিউটিএ ভবনের নিচতলায়সোস্যাল ইসলামী ব্যাংকে খোলা 'বিআইডব্লিউটিএ কর্মচারী কল্যাণ তহবিল' এবং'বিআইডব্লিউটিএ শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন' নামের পৃথক দুটি হিসাব থেকে প্রায়২৫ লাখ টাকা উত্তোলন ও আত্মসাতের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। এইআত্মসাতের ঘটনাসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ নিয়ে তদন্তকালে দুদকের ঢাকা জেলাসমন্বিত কার্যালয় গত ৩ সেপ্টেম্বর ছারোয়ারকে জিজ্ঞাসাবাদ এবং তার ও তার ওপরনির্ভরশীল ব্যক্তিদের নামে-বেনামে থাকা যাবতীয় স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তিরহিসাব তলব করেছে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতি ও ক্ষমতারদাপট দেখিয়ে অবৈধ সম্পদ অর্জনসহ নানা অভিযোগে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ওসম্প্রতি তদন্ত করেছে। এদিকে, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব আবদুছ ছাত্তার শেখ সম্প্রতিছারোয়ারের বিরুদ্ধে তদন্ত করে দুর্নীতি-অনিয়মের অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায়তাকে প্রধান কার্যালয়ে থেকে অন্যত্র বদলির সুপারিশ করেছিলেন। তবে তিন মাসেওসুপারিশটি বাস্তবায়ন হয়নি। বিআইডব্লিউটিএর কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারসঙ্গে সখ্য থাকায় তাকে কখনও শাস্তির মুখোমুখি হতে হয়নি- এমন গুঞ্জন রয়েছেসংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে। ছারোয়ারের কথার অবাধ্য হলেই তিনিঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দিয়ে তাকে শাস্তিমূলক বদলি করে দেন বলেও অভিযোগরয়েছে। ছারোয়ার যা বললেন :অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদঅর্জনের সব অভিযোগ অস্বীকার করে ছারোয়ার হোসাইন সমকালকে বলেছেন, তার কোনোসম্পদই নেই। শ্যালিকার নামে যে ফ্ল্যাটটি কেনার কথা বলা হচ্ছে, সেটিশ্যালিকাই কিনেছেন। তবে শ্যালিকা যেহেতু বিদেশে থাকেন, সেই কারণে ফ্ল্যাটটিযাতে দখল না হয়ে যায়, সেই কারণেই সেখানে তিনি পরিবার নিয়ে বসবাস করেনমাত্র। তাছাড়া ফ্ল্যাটটি এখনো রেজিস্ট্রেশনই হয়নি। আর মায়ের নামে টাঙ্গাইলশহরে বাড়ি কেনা হলেও সেটি একতলা টিনশেড বাড়ি এবং খুব বেশি অর্থ দিয়ে কেনাহয়নি। আর 'আমিন-মোমিন হাউজিং লিমিটেড' এ আরও তিনজন অংশীদারের সঙ্গে সমিতিকরে ছয় কাঠার একটি প্লট তিনি কিনেছিলেন, এটা সত্য। কিন্তু হাউজিং প্রকল্পউচ্ছেদের পর আর কোনো টাকা-পয়সা দেননি তাদের। বেনামে জাহাজ, গাড়ি ও দোকানসহঅন্যান্য সম্পদ বানানোর অভিযোগগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা। দুদকের তদন্ত কমিটিরকাছেও তার প্রকৃত সম্পদের হিসাবসহ আয়কর পরিশোধের যথাযথ তথ্য-প্রমাণ দাখিলকরেছেন তিনি। বদলি ও নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, 'অনিয়ম-দুর্নীতিকরে কারও কাছ থেকে কখনও একটি পয়সা নিয়েছি অথবা আমার বিরুদ্ধে কোনো অন্যায়েরঘটনা প্রমাণ হলে- যেকোনো শাস্তি মাথা পেতে নেব।' সম্প্রতি নৌ-পরিবহনমন্ত্রণালয়ের একটি তদন্ত কমিটি তাকে অন্যত্র বদলির যে সুপারিশ করেছিল- সেইপ্রসঙ্গে তার দাবি, তাকে নয়, শুল্ক্ক আদায়ে সম্পৃক্ত কর্মচারীদের বদলিরসুপারিশ করা হয়েছিল। বিআইডব্লিউটিএর মেয়াদোত্তীর্ণ সিবিএর এই কার্যকরী সভাপতি বলেন, 'চাকরিরপয়সায় চলি আমি, অসৎপথে অর্জিত অর্থে নয়। আসলে বিআইডব্লিউটিএ সিবিএতে আমারপ্রতিপক্ষ নিজেদের ফায়দা হাসিলের জন্য অহেতুক আমার বিরুদ্ধে নানা মিথ্যাঅভিযোগ আনছে। এ নিয়ে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় উদ্দেশ্যমূলকভাবে লেখালেখিও করাহচ্ছে। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন।'
দুর্নীতি
সেলিমের ভিডিও ফাঁদ
প্রকাশ: ০৪ অক্টোবর ২০১৯ | ১৩:৪০
গুলশান ২-এর ৯৯ নম্বর সড়কের ১১/১ নম্বর বাসার একটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট ভাড়াকরে 'রংমহল' বানিয়েছিলেন আন্ডারওয়ার্ল্ডে 'থাই ডন' হিসেবে পরিচিত সেলিমপ্রধান। সপ্তাহের প্রতি শনিবার বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে সারারাত সেখানে 'জলসা'হতো। সেই জলসায় যাতায়াত ছিল একাধিক প্রভাবশালী রাজনীতিক, শিল্পপতি,ব্যবসায়ী, সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারও। সেখানে নিয়মিত যেতেন সাবেক দুইপ্রতিমন্ত্রীও। জলসায় অংশগ্রহণকারীদের অনৈতিক ও অসংযত জীবনাচরণের ছবি ধারণকরতে বসানো ছিল গোপন ক্যামেরা। সেই ক্যামেরায় ধারণ করা ভিডিও মেমোরি কার্ডেনিয়ে রাখতেন সেলিম। পরে ওই ছবি দেখিয়ে ভিআইপিদের ফাঁসানোর ফাঁদ পাতেনতিনি। সেলিমের ঘনিষ্ঠজন ছাড়াও একাধিক দায়িত্বশীল গোয়েন্দা সূত্র থেকে এসবতথ্য পাওয়া গেছে। র‌্যাবের হাতে গ্রেফতারের পর সেলিম প্রধানের অপরাধ জগতেরঅনেক চমকপ্রদ তথ্য বেরিয়ে আসছে। গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, আন্ডারওয়ার্ল্ডের ডন সেলিম প্রধান গত ৩০সেপ্টেম্বর থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে বিদেশ যাওয়ার সময় তার লাগেজেরসঙ্গে অনেক মালপত্র নিয়ে যাচ্ছিলেন। লাগেজ তল্লাশি করে পাওয়া যায় তিনটিমেমোরি কার্ড। পরে ওই কার্ড পরীক্ষা করে দেখা যায়, সেখানে রয়েছেদেশি-বিদেশি তরুণীদের সঙ্গে অনেক ভিআইপির অন্তরঙ্গ ছবি। জিজ্ঞাসাবাদে জানতেচাওয়া হয়, কেন ওই মেমোরি কার্ড থাইল্যান্ডে নিয়ে যাচ্ছিলেন- এ প্রশ্নেরকোনো সদুত্তর দিতে পারেননি সেলিম। তবে গোয়েন্দারা বলছেন, এসব ভিডিও দেখিয়েফাঁসানোর ভয় দেখিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা ছিল সেলিমপ্রধানের। বিদেশে বসে ভিআইপিদের গোপন ভিডিও প্রচার ও প্রকাশের কথা বলে টাকাহাতিয়ে নেওয়াই ছিল তার মূল উদ্দেশ্য। এরই মধ্যে অনলাইন ক্যাসিনোর মূল হোতা সেলিম প্রধানসহ তিনজনকে মাদক মামলায়চার দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত। ঢাকা মহানগর আদালতের হাকিম মইনুলইসলাম বৃহস্পতিবার দুপুরে এ আদেশ দেন। অন্য দুই আসামি হলেন- আখতারুজ্জামান ওরোমান। সেলিমের আরও কয়েকজন ঘনিষ্ঠ সহযোগীকে খোঁজা হচ্ছে। তাদের মধ্যেএকাধিক দেশি-বিদেশি নারীও আছেন।দীর্ঘদিন ধরে সেলিমের কর্মকাণ্ডের তথ্য রাখেন এমন একাধিক ব্যবসায়ী ওগোয়েন্দা সূত্র জানায়, গুলশান-২ নম্বর সেকশনের একটি বাড়ির দুটি ফ্লোর ভাড়ানিয়েছিলেন সেলিম প্রধান। ওই বাড়ির তৃতীয় তলায় এক বাঙালি স্ত্রীকে নিয়ে বসবাস করতেন তিনি। চতুর্থ তলায় ছিল তাররংমহল। সেখানে পাঁচটি বড় বড় কক্ষ রয়েছে। এর মধ্যে দুটি কক্ষে তার অফিসসহকারীরা বসতেন। বাকি তিনটি রুম নাচ-গান ও ভিআইপিদের মনোরঞ্জনের জন্যব্যবহার হতো। একটি বিশেষ কক্ষে ভেন্টিলেটরের ওপর ছোট্ট গোপন ক্যামেরা বসানোথাকত। দেশি-বিদেশি সুন্দরী তরুণীদের সঙ্গে একান্তে সময় কাটানোরমুহূর্তগুলো ওই ক্যামেরায় ধারণ করা হতো। সেলিম প্রধানের নির্দেশে মাসুমনামে এক যুবক ওই কক্ষে এই গোপন ক্যামেরা বসায় বলে গোয়েন্দা সূত্রে জানাগেছে। জানা গেছে, সেলিম প্রধানের কাছে বাড়িওয়ালা ভাড়া বাবদ পাবেন ২৬ লাখ টাকা।প্রভাব-প্রতিপত্তি খাটিয়ে সেলিম সেই ভাড়া দিচ্ছেন না। এ বাড়িতেপ্রভাবশালীদের আনাগোনা থাকার বিষয়টি জানতেন বাড়িওয়ালা। সেলিম প্রধানকে অনেক'ক্ষমতাধর' মনে করে সাহস করে কিছু বলতেন না বাড়িওয়ালা।জানা গেছে, এরই মধ্যে সেলিম প্রধান তার গোপন ক্যামেরায় যাদের ছবি ধারণ করেরেখেছিলেন তাদের মধ্যে একাধিক প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতা রয়েছেন। যাদের কেউকেউ সাবেক প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন। এ ছাড়া আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারীবাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তা ও শিল্পপতিদের ফাঁসানোর সব আয়োজন ছিল তার। গোয়েন্দারা বলছেন, সেলিম প্রধান একজন বহুরূপী প্রতারক। সমাজের উচ্চবিত্তশ্রেণির সঙ্গে তার গভীর সখ্য ছিল। অনেক সময় বড় বড় প্রতিষ্ঠান কোনো আইনিঝামেলায় পড়লে প্রভাবশালীদের ব্যবহার করে তা মিটমাট করে দেওয়ার বিনিময়ে কোটিকোটি টাকা হাতিয়েছেন তিনি। তবে যারা তার রংমহলে নিয়মিত যেতেন তারাকোনোভাবে টের পাননি গোপনে তার ছবি ধারণ করে রাখা হচ্ছে। এরই মধ্যে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি সংস্থা সেলিমের সহকারীমাসুমকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। তিনি সেলিমের রংমহলের অনেক তথ্য দিয়েছেন।গুলশানে সেলিমের বাসা থেকে অসামাজিক কাজে ব্যবহার হতো, এরকম অনেক আলামতপাওয়া গেছে। মাসুম জানান, সেলিমের নির্দেশে বায়তুল মোকাররম মার্কেট থেকেগোপন ক্যামেরা কিনে গুলশানের বাসায় লাগানো হয়। গোপনে ভিআইপিদের ছবি ধারণকরার দায় সেলিম প্রধানের। গুলশানে তার রংমহলে যারা নিয়মিত যেতেন তাদের'প্রধান ক্লাবের' সদস্য করে নিতেন সেলিম। 'প্রধান ক্লাবে' একবার কেউ নামলেখালে সেখান থেকে বের হওয়া কঠিন ছিল। মূলত এই রংমহলের আনঅফিসিয়াল নাম ছিলপ্রধান ক্লাব।সমকালের হাতে আসা একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, কীভাবে ওই রংমহলে গোপনক্যামেরা বসানো হয়েছিল তার ব্যাখ্যা দিচ্ছিলেন সেলিম প্রধানের দীর্ঘদিনেরবিশ্বস্ত সহযোগী মাসুম।দায়িত্বশীল সূত্র সমকালকে জানায়, মূলত অনলাইনে ক্যাসিনো গেমের আসর বসিয়েকোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন সেলিম প্রধান। শুধু এক মাসে তিনটি ব্যাংকেরমাধ্যমে ৯ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। সব মিলিয়ে অনলাইনেজুয়া খেলার মাধ্যমে উত্তর কোরিয়া ও ফিলিপাইনে শতকোটি টাকার বেশি পাচারহয়েছে বলে মনে করছেন গোয়েন্দারা। প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, প্রথমে পি-২৪ ও এসডি কনসাল্টিং অ্যান্ডম্যানেজমেন্ট নামে দুটি অনলাইন জুয়ার প্রতিষ্ঠান খোলেন সেলিম প্রধান।পি-২৪-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন সেলিম। একই প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যানছিলেন অন্য এক প্রভাবশালী ব্যক্তির ভাই। এসডি কনসাল্টিংয়ের চেয়ারম্যান করাহয় উত্তর কোরিয়ার নাগরিক মি. লিকে। আর ব্যবস্থাপনা পরিচালক করা হয়েছিল জনৈকগোলাম মাওলাকে। এসডি কনসাল্টিংয়ের নামে কমার্শিয়াল ব্যাংক অব সিলন ও সিটিব্যাংকে তিনটি হিসাব খোলা ছিল। বিভিন্ন ইকোনমিক গেটওয়ের মাধ্যমে এইহিসাবগুলোতে লাখ লাখ টাকা জমা হতো; যা অনলাইন ক্যাসিনোর মাধ্যমে আয় হতো।একসময় সেলিম প্রধানের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয় গোলাম মাওলার। তাই টি-২১ নামেআরেকটি কোম্পানি খোলেন সেলিম প্রধান। ওই প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান করা হয়রাজধানীর উত্তর বাড্ডার বাসিন্দা শাহনাজ পারভীন ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক করাহয় মুন্সীগঞ্জের বাসিন্দা জনৈক জাকির হোসেন পলাশকে। শাহনাজের গ্রামের বাড়িজয়পুরহাটের পাঁচবিবিরহাট। তাদের বিস্তারিত পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে পাওয়াযায়নি। নেপথ্যে সেলিম প্রধানের হয়ে টি-২১ অনলাইন জুয়া খেলা পরিচালনা করতেনজনৈক আখতারুজ্জামান। তারা রাজধানীর বনানীতে একটি অফিস খুলে বসেন। ইউসিবিব্যাংকের সামিট অ্যান্ড সবুর ব্রাদার্স নামে একটি প্রতিষ্ঠান ও যমুনাব্যাংকের আলম গাজী নামে এক ব্যক্তির হিসাব নম্বরে তাদের অর্থ জমা হতো। গোয়েন্দারা বলছেন, অত্যন্ত চতুর ও ধূর্ত ছিলেন সেলিম প্রধান। নেপথ্যে থেকেঅন্যদের ব্যবহার করেই অনলাইন ক্যাসিনোর মাধ্যমে টাকা পাচার করে আসছিলেনতিনি। তাকে এই কাজে সহযোগিতা করতেন চার কোরিয়ান। তারা হলেন- ডু, ইয়াং শি,লি ও জুনিয়ান লি। জানা গেছে, ১৯৭৩ সালে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সেলিম প্রধানের জন্ম। ১২-১৩বছর বয়সে ভাইয়ের সঙ্গে জাপান চলে যান তিনি। তার পড়াশোনা এসএসসির গণ্ডি পারহয়নি। তবে অনর্গল ইংরেজি বলতে পারতেন; কিন্তু ইংরেজি লিখতে পারতেন না।জাপানে গিয়েও অপরাধ জগতে জড়িয়ে পড়েন তিনি। সেখানে কে-১ ফাইটিং গ্রুপ তৈরিকরেন। একসময় 'জিরো ওয়াত্তা' নামে এক জাপানি বক্সার ও আন্ডারওয়ার্ল্ডেরসদস্যের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। তাকে বাংলাদেশেও নিয়ে এসেছিলেনসেলিম। জাপানে পাসপোর্ট নিয়ে ঝামেলায় জড়িয়ে সেখানকার চিফ ইমিগ্রেশনকর্মকর্তাকে মারধর করেছিলেন সেলিম। ওই ঘটনায় দায়ের করা মামলায় জাপানে জেলওখাটেন তিনি। এরপর জাপান থেকে যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান সেলিম। সেখানে কিছু দিনথাকার পর দেশে ফেরেন। এরপর আবার থাইল্যান্ড যান সেলিম। সেখানে তার একাধিকবাড়ি ও ব্যবসা রয়েছে। সেলিম প্রধানকে দীর্ঘদিন ধরে চেনেন-জানেন এমন এক ব্যবসায়ী সমকালকে জানান,এমন কোনো খারাপ দিক নেই যেটা সেলিমের মধ্যে ছিল না। তার ডাকে ঘণ্টাখানেকেরমধ্যে হাজির হতো শত শত সুন্দরী তরুণী। একসময় সেলিম প্রধানের সঙ্গে হাওয়াভবনের অনেকের গভীর সম্পর্ক ছিল।দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, সেলিমের বিয়ে নিয়েও রয়েছে চমকপ্রদ নানা কাহিনী।একসময় রাশিয়ার আনা নামে এক নারীকে বিয়ে করেন সেলিম। বর্তমানে জাপানেও তারএক স্ত্রী রয়েছে। পুরান ঢাকায় মাসুমা নামে এক নারীকেও বিয়ে করেন তিনি। তাকেনিয়েই গুলশানে থাকতেন তিনি। এ ছাড়া কাস্টমসে কর্মরত আরেক নারীকে সেলিমবিয়ে করেছেন বলে শোনা যায়। তবে প্রমাণাদি পাওয়া যায়নি। সেলিম তারসাঙ্গোপাঙ্গদের মাধ্যমে সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্টে গরু ও মাদক কারবারেওজড়িত ছিলেন বলে তথ্য পাওয়া গেছে। আন্তর্জাতিক জুয়াড়িদের সঙ্গে তার সখ্যরয়েছে। অনেক সময় সংসদ সদস্য লেখা সংবলিত স্টিকারযুক্ত গাড়ি নিয়ে চলতেনতিনি। সিলেটের পাথর ব্যবসায়ও তার নিয়ন্ত্রণ ছিল। সেলিম প্রধান রূপালীব্যাংকের তালিকায় অন্যতম শীর্ষ ঋণখেলাপি। ব্যাংকটি বর্তমানে তার কাছে পাবেশতকোটি টাকার বেশি।সেলিম প্রধানের প্রিন্টিংয়ের ব্যবসাও ছিল। তার ওই প্রতিষ্ঠানের নামজাপান-বাংলাদেশ সিকিউরিটি প্রিন্টিং অ্যান্ড পেপারস লিমিটেড। এই প্রেস থেকেদেশি-বিদেশি নানা ব্যাংকের চেক বই, ব্যাংক ড্রাফট ও নিরাপত্তা সামগ্রীছাপতেন ও সরবরাহ করতেন তিনি। অন্তত ১৮টি ব্যাংকে তিনি ওই প্রতিষ্ঠানের নামেমালপত্র সরবরাহ করেন। সেলিম প্রধানের প্রভাব-প্রতিপত্তির ব্যাপারে এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জানান,নারায়ণগঞ্জে সেলিম প্রধানের একটি কারখানা কিছু সরকারি জায়গা দখল করে নেয়।তার কারখানার কারণে একটি উড়াল সড়কের ডিজাইন পাল্টাতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ।এটা করতে তিনি সরকারঘনিষ্ঠ একজন বড় নেতার নাম ব্যবহার করেছিলেন।
সেলিমের ভিডিও ফাঁদ
এরশাদের আসনে ভোট চলছে
প্রকাশ: ০৪ অক্টোবর ২০১৯ | ২১:২৫ | আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০১৯ | ২২:৪৩
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মৃত্যুতে শূন্য হওয়া রংপুর-৩ (সদর) আসনের উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে।শনিবার সকাল ৯টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়, যা একটানা চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। নির্বাচনে নগরীর ২৫টি ওয়ার্ড ও ৫টি ইউনিয়নের ১৭৫টি ভোট কেন্দ্রের সবগুলোতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করা হচ্ছে।নির্বাচনে এ আসনে লড়ছেন মহাজোটের প্রার্থী জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রয়াত চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের ছেলে জাপার রাহাগীর আল মাহি সাদ এরশাদ (লাঙ্গল), বিএনপির রিটা রহমান (ধানের শীষ), এরশাদের ভাতিজা (স্বতন্ত্র) হোসেন মকবুল শাহরিয়ার আসিফ (মোটরগাড়ি), খেলাফত মজলিসের তৌহিদুর রহমান মণ্ডল (দেয়াল ঘড়ি), গণফ্রন্টের কাজী মো. শহিদুল্লাহ্‌ (মাছ), এনপিপির শফিউল আলম (আম)।নির্বাচনে ছয়জন প্রার্থী অংশ নিলেও সাদ, রিটা ও আসিফের মধ্যে লড়াই হবে বলে মনে করছেন ভোটাররা। নগরীর ২৫টি ওয়ার্ড ও পাঁচটি ইউনিয়ন নিয়ে সদর আসনে মোট ভোটার রয়েছে চার লাখ ৪১ হাজার ২২৪ জন।ভোটগ্রহণ শুরুর পর সকাল সাড়ে ১০টার পর্যন্ত কেন্দ্রগুলোতে ভোটারদের তেমন উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়নি। এছাড়া নির্বাচন ঘিরে উল্লেখিত সময় পর্যন্ত কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। এদিকে বিএনপির প্রার্থী রিটা রহমান অভিযোগ করেছেন, শুক্রবার রাতে পুলিশি অভিযানের কারণে তার নেতাকর্মীরা ভোটের মাঠে থাকতে পারেনি।শনিবার সকালে ভোট শুরুর পর পুলিশ, র‌্যাব, প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিভিন্ন কেন্দ্র পরিদর্শন করছেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সদর আসনজুড়ে ১৮ প্লাটুন বিজিবি, ২০টি র‌্যাবের টহল টিম, পুলিশের টহল টিম ও কেন্দ্রগুলোতে অস্ত্রধারী পুলিশ ও আনসারবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। ১৮ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং চারজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট্রের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হচ্ছে।আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা জিএম সাহাতাব উদ্দিন বলেন, নির্বাচনকে ঘিরে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ভোটারদের প্রতি আহ্বান– নির্বিঘ্নে ভোটকেন্দ্রে এসে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে নিরাপদে বাড়ি ফিরে যাওয়ার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা রয়েছে। একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে কমিশন বদ্ধপরিকর।গত ১৪ জুলাই ঢাকায় সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান রংপুর-৩ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। ১৬ জুলাই সংসদ সচিবালয় আসনটি শূন্য ঘোষণা করে।
রংপুরে ভোট, নির্বাচন, উপনির্বাচন, রংপুর-৩ আসনে ভোট, এরশাদের আসনে ভোট
হিলি বন্দরে ৭ দিন আমদানি-রফতানি বন্ধ
প্রকাশ: ০৪ অক্টোবর ২০১৯ | ২১:৩২ | আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০১৯ | ২১:৪১
হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ৭দিন বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পণ্য আমদানি-রফতানি কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ভারতের হিলি এক্সপোর্টার অ্যান্ড কাস্টমস ক্লিয়ারিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে দুই দেশের মধ্যে পাসপোর্টধারী যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক থাকবে।ভারতের হিলি  এক্সপোর্টার অ্যান্ড কাস্টমস ক্লিয়ারিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি সনজিৎ মজুমদার জানান, হিন্দু সম্প্রদায়ের বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ উপলক্ষে ৫ থেকে ১১ অক্টোবর পর্যন্ত হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ৭ দিন বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পণ্য আমদানি-রফতানি কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি ইতোমধ্যে বাংলাদেশের হিলি কাস্টমস সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনকে পত্র দিয়ে জানানো হয়েছে। আগামী ১২ অক্টোবর থেকে পুনরায় শুরু পণ্য আমদানি-রফতানি কার্যক্রম।হিলি স্থল শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা নুর আমীন বলেন, ভারতের ব্যবসায়ীরা ৭ দিন বন্ধের সিদ্ধান্ত নিলেও শুধুমাত্র পূজার দশমীর দিন (সরকারি ছুটি) কাস্টমস কার্যালয় বন্ধ থাকবে। এরপর থেকে অফিসিয়াল কাজ-কর্ম চলবে। আমাদের অতিরিক্ত ছুটি গ্রহণের কোনো সুযোগ নেই।এদিকে হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের ওসি মো. রফিকুজ্জামান জানান, হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট সকল ধরণের সরকারি ও বেসরকারি ছুটির আওতামুক্ত থাকে। এ কারণে এই দুই দেশের মধ্যে পাসপোর্টধারী যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক থাকবে।
হিলি স্থল বন্দর, আমদানি-রফতানি, দুর্গাপূজা
পতাকা অবমাননায় জেল-জরিমানার বিধান রেখে সংশোধন হচ্ছে আইন
প্রকাশ: ০৪ অক্টোবর ২০১৯ | ২১:৫৮ | আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০১৯ | ২৩:২৪
ইচ্ছাকৃতভাবে জাতীয় পতাকার অবমাননা করলে সর্বোচ্চ ছয় মাসের কারাদণ্ড এবং পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা গুনতে হবে। জাতীয় শোকদিবস, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস এবং সরকার ঘোষিত দিবস ছাড়া পতাকা অর্ধনমিত রাখা যাবে না। এ ছাড়া জাতীয় দিবস উদযাপন ছাড়া অন্য কোনো সময়ে সাধারণ মানুষ গাড়িতে পতাকা টানাতে পারবে না। এমন বিধান রেখে বাংলাদেশ পতাকা আইন-১৯৭২ সংশোধন করতে যাচ্ছে সরকার। এরই মধ্যে এ আইন সংশোধনের খসড়া তৈরি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। শিগগির এটি অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে উপস্থাপন করা হবে।মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের (সমন্বয় ও সংস্কার) সচিব শেখ মুজিবুর রহমান সমকালকে বলেন, জাতীয় পতাকার ওপর মানুষের আরও শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা সৃষ্টির জন্য আইনটি সংশোধন করা হচ্ছে। সংশোধিত আইনে জাতীয় পতাকা অবমাননার জন্য শাস্তির বিধান রাখা হচ্ছে। স্বাধীনতাবিরোধীরা অনেক সময় ইচ্ছা করে জাতীয় পতাকার অবমাননা করে থাকে। বিদ্যমান আইনে এ ব্যাপারে কোনো বিধান না থাকায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যায় না।মুজিবুর রহমান বলেন, কেউ নিজের অজান্তে পতাকার অবমাননা করলে তাকে শাস্তির আওতায় আনা হবে না। সতর্ক করে দেওয়া হবে। এ ছাড়া পতাকার সঠিক ব্যবহারে জনগণকে সচেতন করতে প্রচারণাও চালানো হবে।জানা গেছে, ১৯৭২ সালের আইন অনুযায়ী সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধাসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলো জাতীয় পতাকার ব্যবহার করে। বিভিন্ন জাতীয় দিবসে সাধারণ মানুষের মধ্যে পতাকার ব্যবহার বেড়ে যায়। ভালোবাসার টানে এবং মনের আনন্দে এ সময় মানুষ পতাকা ব্যবহার করলেও তাদের অজান্তেই অবমাননা হয়ে যায়। অনেকে জাতীয় পতাকার স্টিকার হাতে-পায়ে এবং শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ব্যবহার করে। এটা এক ধরনের অবমাননা।বিদ্যমান আইনে পতাকার সঠিক ব্যবহারে মানুষকে সচেতন করতে সরকারের পক্ষ থেকে প্রচারণার কোনো বিধান না থাকায় এ ধরনের ঘটনা বেড়ে যায়। প্রস্তাবিত আইনে পতাকার সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে জনগণকে সচেতন করে তোলার জন্য প্রচারণার বিধান রাখা হয়েছে। বিদ্যমান আইনে পতাকা অবমাননার শাস্তির বিধান না থাকায় অনেকে ইচ্ছা করেও পতাকার অবমাননা করছে। সম্প্রতি ইচ্ছা করে পতাকা অবমাননার হার বেড়ে গেছে।গত কয়েক বছর দেখা গেছে, বিভিন্ন অনুষ্ঠানে পতাকা অবমাননার ঘটনা ঘটেছে। পতাকাকে মাঝখান থেকে ছিঁড়ে দুইভাগ করে অনুষ্ঠান উদ্বোধন করার ঘটনাও ঘটছে। আবার বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দু'গ্রুপের সংঘর্ষে পতাকা পদপিষ্ট হচ্ছে। পতাকায় আগুন দেওয়ার ঘটনাও ঘটছে।বিদ্যমান আইনে পতাকা অবমাননায় শাস্তির বিধান না থাকায় এ অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেনি সরকার। তাই এসব ঘটনা কমাতে প্রস্তাবিত আইনে শাস্তির বিধান রাখার প্রস্তাব করা হচ্ছে। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, কেউ ইচ্ছা করে পতাকার অবমাননা করেছে বলে উপজেলা বা জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে প্রতীয়মান হলে তিনি তাৎক্ষণিক ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।প্রস্তাবিত আইনে পতাকা অর্ধনমিত রাখার সংজ্ঞা স্পষ্ট করে দেওয়া হচ্ছে। বিদ্যমান আইনে পতাকা অর্ধনমিত রাখার সংজ্ঞা স্পষ্ট না থাকায় বিভিন্নজন বিভিন্নভাবে পতাকা অর্ধনমিত রাখে। কিন্তু নতুন আইনে অর্ধনমিত বলতে খুঁটির অর্ধেকে পতাকা ওড়ানোর প্রস্তাব করা হচ্ছে। এই আইনে সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ভবনের ওপর পতাকা ওড়ানোর দায়িত্ব স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের ওপর অর্পণ করা হচ্ছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের দিয়ে নির্দিষ্ট সময়ে পতাকা ওঠাবে ও নামাবে। অবশ্য এখনও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ই এ দায়িত্ব পালন করে। সরকারের মৌখিক নির্দেশে তারা এ দায়িত্ব পালন করে আসছে। বিদ্যমান আইনে এমন কোনো বিধান নেই। তাই সংশোধনীতে এই বিধান সংযোজন করা হচ্ছে।
জাতীয় পতাকা, পতাকা অবমাননা, জাতীয় পতাকার অবমাননা
পাকিস্তানের ভেবে নিজেদের হেলিকপ্টার ভূপাতিত করেছিল ভারত!
প্রকাশ: ০৪ অক্টোবর ২০১৯ | ২১:৫৯ | আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০১৯ | ২২:০৫
ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পুলওয়ামায় গত ফেব্রুয়ারিতে সন্ত্রাসী হামলার জেরে পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। তাতে একটি ভারতীয় বিমান ভূপাতিত করার দাবি করেছিল পাকিস্তান। ভারত অবশ্য বারবারই নিজেদের বিমান ভূপাতিত করার কথা অস্বীকার করে এসেছে। তবে শুক্রবার ভারতের বিমানবাহিনী স্বীকার করেছে, সে সময় তাদের একটি হেলিকপ্টার ভূপাতিত হয়েছিল। তবে সেটা পাকিস্তানের হাতে নয়, ভুল করে নিজেদের হেলিকপ্টারই ভূপাতিত করেছিল ভারতীয় সেনারা। খবর এনডিটিভির।ভারতীয় বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল ভদৌরিয়া বলেছেন, আমরা একটি তদন্ত সম্পন্ন করেছি। এতে দেখা গেছে, পাকিস্তানিদের নয়, আমাদের হাতেই এমআই -১৭ হেলিকপ্টারটি ভূপাতিত হয়েছে। এটি আসলে একটি বড় ধরনের ভুল হয়েছে। আমরা এটিকে মেনে নিয়েছি।ভারতের বিচারবিভাগীয় তদন্তে দেখা গেছে, শ্রীনগর বিমানবন্দরে স্পাইডার বিমান প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র সিস্টেম থেকে মিসাইল ছুঁড়ে ওই হেলিকপ্টারটি নামানো হয়েছিল। টেক-অফের ১০ মিনিট পরেই হেলিকপ্টারটি ভেঙে পড়ে। ভয়াবহ আগুন ধরে যায় তাতে। যেখানে ওই হেলকপ্টারটি ভেঙে পড়ে তার পাশেই জনবসতি ছিল। এমআই -১৭ হেলিকপ্টারটি ভেঙে দু'টুকরো হয়ে যায় এবং তাতে আগুন ধরে যায়। ওই ঘটনায় বায়ুসেনার ৬ সদস্য এবং একজন সাধারণ নাগরিক নিহত হন।
হেলিকপ্টার ভূপাতিত, ভারত, কাশ্মীর
বরিশালে প্রাইভেটকারের ধাক্কায় নিহত ২
প্রকাশ: ০৪ অক্টোবর ২০১৯ | ২৩:৫৭ | আপডেট: ০৫ অক্টোবর ২০১৯ | ০০:৪২
বরিশালে নগরীর কাশীপুর বাজারে ব্যাটারি চালিত অটোরিকশায় প্রাইভেটকারের ধাক্কায় সালেহা বেগম (৫৫) ও আবুল হাশেম (৫০) নামের দুই ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।শনিবার সকাল ৯টার দিকে কাশীপুর বাজার সংলগ্ন ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।নিহত সালেহা বাবুগঞ্জ উপজেলার মাধবপাশা ইউনিয়নের আব্দুর রবের স্ত্রী এবং অটোরিকশা চালক হাশেম কাশীপুর এলাকার বাসিন্দা।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার সকালে কাশিপুর বাজার সংলগ্ন ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে দ্রুতগতির একটি প্রাইভেটকার একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই সালেহা বেগমের মৃত্যু হয় এবং অটোরিকশা চালক হাশেম গুরুতর আহন হন। পরে তাকে উদ্ধার করে বরিশাল-শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক হাশেমকে মৃত ঘোষণা করেন।বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদ বিন আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সমকালকে জানান, প্রাইভেট কারটি জব্দ করা হয়েছে এবং তার চালক মশিউর রহমানকে আটক করা হয়েছে।নিহতদের লাশ ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে বলে জানান ওসি।
বরিশাল, সড়ক দুর্ঘটনা-২০১৯, সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত
পদ্মায় পানি কমছে, বেড়েছে সাপ আতঙ্ক
প্রকাশ: ০৫ অক্টোবর ২০১৯ | ০০:০৭ | আপডেট: ০৫ অক্টোবর ২০১৯ | ০০:৫৭
অবশেষে পদ্মায় পানি কমতে শুরু করেছে। বৃহস্পতিবার স্থিতিশীল অবস্থায় থাকার পর শুক্রবার বিকেল থেকে পানি কমতে শুরু করে। শুক্রবার বিকেলে পদ্মার হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে ২ সেন্টিরমিটার পানি কমে। রাতে আরও ৩ সেন্টিমিটার পানি কমেছে বলে পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে। বর্তমানে পদ্মায় বিপদসীমার ৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। তবে শনিবার সকাল থেকে আবারও পানি স্থিতিশীল রয়েছে। পদ্মার সঙ্গে সঙ্গে কমতে শুরু করেছে পদ্মার অন্যতম শাখা মাথাভাঙ্গা নদীর পানিও। শনিবার সন্ধ্যার মধ্যে পানি বিপদসীমার নিচে নেমে আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এদিকে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে বন্যাকবলিত মানুষের দুর্ভোগ অব্যাহত রয়েছে। পানিবাহিত রোগসহ এলাকায় ব্যাপক ভাবে বিষাক্ত সাপের উপদ্রব বেড়ে গেছে। প্রতিদিনই পানিতে ভেসে আসছে বিভিন্ন প্রজাতির বিষধর সাপ। ভারত থেকে বন্যার পানির সঙ্গে এসব সাপ ভেসে বাংলাদেশে আসছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। এতে দুর্ভোগের সঙ্গে সাপ আতঙ্ক দেখা দিয়েছে পানিবন্দি মানুষের মাঝে। বন্যাকবলিতরা জানান, দৌলতপুর উপজেলার পদ্মার তীরবর্তী চিলমারী ও রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের ৩৮ গ্রামের ১০ হাজার পরিবারের প্রায় ৫০ হাজার মানুষ গত ১০ দিন ধরে পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে। প্রায় ৩ হাজার পরিবারের বাড়িঘরে পানি ঢুকেছে। বাড়িঘরে পানি উঠে আসায় বিষাক্ত সাপও ভেসে আসছে। বিভিন্ন প্রজাতির সাপ ঘরের চালায়, গাছপালায় ও পানিতে ভেসে বেড়াচ্ছে। চিলমারী ইউনিয়নের খারিজাথাক গ্রামের বাসিন্দা ইয়াসিন আলী জানান, প্রতিদিনই বিভিন্ন প্রজাতির বড় বড় সাপ দেখা যাচ্ছে। দিনের আলোতে সাপগুলোকে দেখা গেলেও রাতের অন্ধকারে কখন ঘরের মধ্যে চলে আসছে তা বোঝা যাচ্ছে না। তাই রাতের বেলায় সাপের ভয়ে নির্ঘুম রাত কাটাতে হচ্ছে।বৃহস্পতি ও শুক্রবার গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি দৌলতপুরের বন্যাকবলিত এলাকায় দুর্ভোগ বাড়িয়েছে। মানুষের মধ্যে পানিবাহিত বিভিন্ন রোগ বালাই দেখা দিয়েছে। বন্যাকবলিত এলাকায় সবচেয়ে ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে বৃদ্ধ ও শিশুরা। গত এক সপ্তাহে উপজেলায় বন্যার পানিতে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এদিকে বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরন কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। সরকারিভাবে ছাড়াও বিভিন্ন সংস্থা ও সংগঠন বন্যার্তদের সহযোগিতায় এগিয়ে আসছে। পুলিশের পক্ষ থেকে কুষ্টিয়া পুলিশ সুপার এসএম তানভীর আরাফাতের নেতৃত্বে শনিবার চিলমারী ও রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের কয়েকটি এলাকায় বন্যার্তদের মাঝে দুই হাজার প্যাকেট ত্রাণ বিতরন করা হয়। এ সময় পুলিশ সুপারের স্ত্রী শারমিন আক্তার, এডিশনাল এসপি এসএম আল বেরুনী ও দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এসএম আরিফুর রহমানসহ জেলা পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। শুক্রবার সংসদ সদস্য আ ক ম সারওয়ার জাহান বাদশাহ দৌলতপুরের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে ত্রাণ ও দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান এনামের সঙ্গে সাক্ষাত করলে প্রতিমন্ত্রী বর্ন্যাতদের জন্য তাৎক্ষণিক ১০০ টন চাল ও নগদ ৫ লাখ টাকা বিশেষ বরাদ্দ দেন।   দৌলতপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সাইদুর রহমান বলেন, দুর্গত এলাকায় প্রতিদিন ত্রাণ বিতরণ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যেই চিড়া, বিস্কুট, তেল, নুডুলস সম্বলিত ৬ হাজার প্যাকেট ও ২২ মেট্রিকটন চাল বিতরণ করা হয়েছে। আরও ২০ মেট্রিকটন চাল ও এক হাজার মেট্রিকটন শুকনা খাবার বরাদ্দ পাওয়া গেছে। শনি ও রোববার সেগুলো বিতরণ করা হবে।দৌলতপুর আসনের সাংসদ অ্যাড. আ ক ম সারওয়ার জাহান বাদশাহ বলেন, আমি চরাঞ্চলের মানুষ। তাদের দুঃখ-দুর্দশা আমি ভাল করে বুঝি। তাই ২৪ ঘণ্টা বন্যার্তদের তদারকি করা হচ্ছে। প্রতিদিনই বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরন করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ত্রাণ ও দুযোগ প্রতিমন্ত্রীকে অবহিত করা হলে তিনি তাৎক্ষণিক ১’শ টন চাল ও নগদ ৫ লাখ টাকা বিশেষ বরাদ্দ দেন। দু’এক দিনের মধ্যেই এগুলো বিতরণ করা হবে।
কুষ্টিয়া, পদ্মা নদী, বন্যা, সাপ, পদ্মা
রাজশাহী শহর রক্ষা বাঁধে জনসাধারণের প্রবেশ বন্ধ
প্রকাশ: ০৫ অক্টোবর ২০১৯ | ০০:১১ | আপডেট: ০৫ অক্টোবর ২০১৯ | ০০:১১
প্রবল স্রোতের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া রাজশাহী শহর রক্ষা বাঁধে জনসাধারণের প্রবেশ বন্ধ করে দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শহিদুল আলম জানান, বাঁধটি স্রোতের মুখে পড়ে কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জনসাধারণের প্রবেশে বাড়তি সমস্যা হতে পারে বলেই তাদের প্রবেশ আপাতত বন্ধ করা হয়েছে।বাঁধ রক্ষায় ইতিমধ্যেই তারা আড়াই হাজার বস্তা জিও ব্যাগ ফেলেছেন বলেও জানান এই কর্মকর্তা।এদিকে কমতে শুরু করেছে পদ্মার পানি। পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপাত্ত সংগ্রহকারী এনামুল হক জানান, শনিবার সকাল ৯টায় পানির উচ্চতা ছিল ১৮ দশমিক ১৫ মিটার। গত বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় এ বছরের সর্বোচ্চ পানির উচ্চতা ছিল ১৮ দশমিক ১৯ মিটার। তিনি জানান, প্রতিদিনই পানি কমছে।রাজশাহীর পবা, চারঘাট, বাঘা ও গোদাগাড়ী উপজেলার চরাঞ্চলের পানিবন্দি হয়ে থাকা মানুষ নিরাপদ স্থানে সরে গেছেন। সসরকারি ও বেসরকারিভাবে তাদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ চলছে।
রাজশাহী শহর রক্ষা বাঁধ, শহর রক্ষা বাঁধ, শহর রক্ষা বাঁধে ভাঙন
দৌলতদিয়া-পাটুরিয়ায় ২৪ ঘণ্টায়ও চালু হয়নি লঞ্চ চলাচল
প্রকাশ: ০৫ অক্টোবর ২০১৯ | ০০:২৭ | আপডেট: ০৫ অক্টোবর ২০১৯ | ০২:০৪
আগ্রাসী হয়ে ওঠা প্রমত্তা পদ্মার তীব্র স্রোতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়ায় স্বাভাবিকভাবে চলতে পারছে না নৌযান। এই রুটে লঞ্চ চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠায় শুক্রবার দুপুর ১ টা থেকে এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত শনিবার দুপুর ১ টার সময়ও লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে। সেই সঙ্গে ফেরি চলাচলও চরম ব্যাহত হচ্ছে।এদিকে শুক্রবার দৌলতদিয়া ১নং ফেরি ঘাট নদী ভাঙনের কবলে পড়ে পদ্মায় বিলীন হয়ে গেছে। এছাড়া ২নং ফেরি ঘাটও যে কোনো সময় নদীতে হারিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন ঘাট কর্তৃপক্ষ। ফলে দৌলতদিয়া প্রান্তে নদী পারের অপেক্ষায় সড়কে আটকা পড়েছে শত শত পণ্যবাহী ট্রাকসহ অসংখ্য যানবাহন।শনিবার সকাল ১০টার দিকে দৌলতদিয়ায় যাত্রীবাহী বাস ও গোয়ালন্দ মোড় এলাকায় মহাসড়কে পণ্যবাহী ট্রাক গুলো সিরিয়ালে থাকতে দেখা গেছে। ট্রাক গুলোকে নদী পারের জন্য দিনের পর দিন আটকে থেকে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।এদিকে গত ২৪ ঘন্টায় রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া গেজ স্টেশন পয়েন্টে পদ্মা নদীর পানি ৫ সেন্টিমিটার কমে বিপদসীমার ৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। হঠাৎ পদ্মার পানি বৃদ্ধিতে জেলার প্রায় ৪ হাজার পরিবার পানি বন্দী হয়েছে পড়েছেন। এছাড়া নদী ভাঙ্গন শুরু হয়েছে জেলার বিভিন্ন স্থানে।দৌলতদিয়া ঘাট কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, গত কয়েক দিন পদ্মার তীব্র স্রোতে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে লঞ্চ ও ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। নদী পার হতে সময় লাগছে আগের তুলনায় দ্বিগুণ। যে কারণে দৌলতদিয়ায় যানবাহনের দীর্ঘ সিরিয়াল তৈরি হচ্ছে। এছাড়া স্রোতের কারণে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে ফেরি ঘাট এলাকায়ও। ফলে ১ ও ২ নং ফেরি ঘাট বন্ধ রয়েছে এবং ভাঙ্গন রোধে কাজ করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। বর্তমানে এ রুটে ১৬টি মধ্যে ১০টি ফেরি চলাচল করছে। তবে স্রোতের সাথে পাল্লা দিয়ে সব গুলো ফেরি চলতে পারছে না। এছাড়া দৌলতদিয়া প্রান্তের ৬টি ফেরি ঘাটের ৪টি ঘাট চালু রয়েছে। স্রোতে এ রুটে লঞ্চ চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় শুক্রবার দুপুর থেকে রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক দিলসাদ বেগম লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দেন।রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আরিফুর রহমান অঙ্কুরের দাবি- ভাঙ্গনের কবল থেকে দৌলতদিয়া ঘাট রক্ষার জন্য তারা সর্বাত্মক চেষ্টা করছেন।দৌলতদিয়া লঞ্চ ঘাট সুপার ভাইজার মো. মোফাজ্জেল হোসেন সমকালকে জানান, তীব্র স্রোতের কারণে শুক্রবার দুপুর থেকে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। শনিবার বেলা ১২ পর্যন্ত চালু হয়নি লঞ্চ চলাচল।বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট ব্যাবস্থাপক (বাণিজ্য) আবু আব্দুল্লাহ রনি জানান, তীব্র স্রোতে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচলও ব্যাহত হচ্ছে। ভাঙনে ১নং ফেরি ঘাট ইতিমধ্যে নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। ২নং ঘাটটিও ঝুঁকিতে থাকায় সেটি বন্ধ রয়েছে। ফলে নদী পারের অপেক্ষায় কিছু যানবাহন সিরিয়ালে রয়েছে।
পদ্মা নদী, তীব্র স্রোত, দৌলতদিয়া, পাটুরিয়া, লঞ্চ চলাচল বন্ধ, গোয়ালন্দ
বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয় ভারত: জয়শঙ্কর
প্রকাশ: ০৫ অক্টোবর ২০১৯ | ০০:৩৪ | আপডেট: ০৫ অক্টোবর ২০১৯ | ০০:৪৮
বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে ভারত সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয় বলে আবারও নিশ্চিত করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর।শনিবার নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাতে তিনি বাংলাদেশ নিয়ে ভারতের এই অবস্থান তুলে ধরেন বলে এক টুইটে জানিয়েছেন ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রাভিশ কুমার।ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে শনিবার বৈঠকে বসবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর আগে সকালে হোটেল তাজ মহলে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।টুইটে রাভিশ কুমার লিখেছেন, 'বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্করের উষ্ণ আলোচনা হয়েছে। বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে যে ভারত সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয় তা আবারও নিশ্চিত করেছেন ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী।'ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) ইন্ডিয়া ইকোনোমিক সামিটে যোগ দিতে চারদিনের সরকারি সফরে বৃহস্পতিবার ভারতে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওইদিনই তিনি হোটেল তাজ প্যালেসের দরবার হলে ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরামের ইন্ডিয়া ইকোনোমিক সামিটে বাংলাদেশের ওপর কৌশলগত সংলাপে যোগ দেন। একই দিন প্রধানমন্ত্রী তার সম্মানে বাংলাদেশ হাইকমিশনের মৈত্রী হল ও বাংলাদেশ হাউসে আয়োজিত অভ্যর্থনা ও নৈশভোজে যোগ দেন। ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার এ নৈশভোজের আয়োজন করেন।শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী তিয়ানে আইসিটি মোরিয়ায় ভারতীয় আইসিটি প্রতিষ্ঠানের সিইওদের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে যোগ দেন। এছাড়া তিনি আইসিটি মোরিয়ার কমল মহলে ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ বিজনেস ফোরামের (আইবিবিএফ) উদ্বোধনী অনুষ্ঠান এবং হোটেল তাজ প্যালেসের দরবার হলে ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরামের সমাপনী অধিবেশনে যোগ দেন।শনিবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করবেন শেখ হাসিনা। এছাড়া একই দিন তিনি ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। প্রধানমন্ত্রী রোববার দেশে ফিরবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী, শেখ হাসিনা, প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর, এস জয়শঙ্কর, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
প্রতিপক্ষের হামলায় বৃদ্ধ নিহত
প্রকাশ: ০৫ অক্টোবর ২০১৯ | ০০:৪১
কক্সবাজারের চকরিয়ায় বিরোধপূর্ণ জমির ধান কাটাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় হাফেজ মাওলানা রুহুল আমিন (৫৮) নামে এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন।এ সময় তার বড় ভাই মাওলানা আমিনুর রশিদ (৭০) মারাত্মক আহত হয়েছে। তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার কৈয়ারবিল ইউনিয়নের নোয়াপাড়ায় এই ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা জানায়, নোয়াপাড়ার মৃত মাওলানা আমিন উল্লাহর ছেলে হাফেজ মাওলানা রুহুল আমিন ও তার বড় ভাই মাওলানা আমিনুর রশিদের সঙ্গে প্রতিবেশী বেলাল উদ্দিন গংয়ের ভূমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। সকালে বিরোধপূর্ণ জমিতে ধান কাটতে যায় বেলালের লোকজন। এ সময় বাধা দিতে গেলে বেলালের লোকজনের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে হাফেজ মাওলানা রুহুল আমিন ও মাওলানা আমিনুর রশিদ মারাত্মক আহত হয়। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে চকরিয়া হাসপাতালে আনার পথে হাফেজ মাওলানা রুহুল আমিন মারা যান। মাওলানা আমিনুর রশিদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। চকরিয়া থানার ওসি হাবিবুর রহমান জানান, ঘটনার পর স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় মূল অভিযুক্ত বেলাল উদ্দিনকে গ্রেফতার করেছে। তিনি ওই এলাকার মোহাম্মদ শফির ছেলে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। 
কক্সবাজার, প্রতিপক্ষের হামলা
শিশুদের মনোযোগ বাড়াবেন যেভাবে
প্রকাশ: ০৫ অক্টোবর ২০১৯ | ০০:৫৩
শিশুদের পড়তে বসানো মায়েদের কাছে আজকাল বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। পড়তে বসালেই শিশুদের মন খেলার জন্য অস্থির হয়ে ওঠে। কখনওবা শুরু তাদের খুনসুটি। পড়াশোনায় শিশুদের মনোযোগ বাড়াতে কিছু বিষয় অনুসরণ করতে পারেন। যেমন-১. দিনে অন্তত একটা ঘণ্টা শিশুকে ছুটাছুটি করতে দিন। এতে তার শরীর থেকে এনডরফিন হরমোন বেশি পরিমাণে নিঃসৃত হবে। ফলে ঘামও ঝরবে । শরীর থেকে ঘাম ঝরার পর শিশুকে পড়াতে বসালে অনেকটা লাভ হয়। কারণ এনডরফিন হরমোন নিঃসরণের ফলে অন্তত এক ঘন্টা থেকে দেড় ঘন্টা শিশুর মনোযোগ ঠিক থাকবে।২. শিশুকে গান শেখাতে পারেন। তবে সবচেয়ে ভালো হয় যন্ত্রসঙ্গীত শেখালে। পিয়ানো, সিন্থেসাইজার, তবলা, মাউথ অর্গান জাতীয় কিছু শেখালে আপনার সন্তান মনোযোগী হবে।৩. শিশুকে জোর করবেন না। এতে মনোযোগ আসে না। শিশুকে খেলার ছলে শেখাতে পারেন। ৪. শোয়ার আগে শিশুর সঙ্গে কিছুটা সময় গল্প করুন। ওরা প্রশ্ন করলে উত্তর দিন, বিরক্ত হবেন না। ৫. সন্তানের বয়স অনুযায়ী তার মনোযোগ বাড়ানোর চেষ্টা করুন। ৪ থেকে ৫ বছরের শিশুর যে মনোযোগ থাকবে ১০ বছরের শিশুর তার চেয়ে বেশি থাকবে এটাই স্বাভাবিক। আপনার সন্তান ছোট হলে তার থেকে খুব বেশি মনোযোগ প্রত্যাশা করবেন না। ৬. শিশুকে ইলেকট্রনিক গ্যাজেট যেমন- মোবাইল, ল্যাপটপ এসব থেকে যত দূরে রাখবেন ততই ভালো। কারণ ছোট বয়সে মানুষের মস্তিষ্কে এগুলোর প্রভাব পড়ে মনোযোগ নষ্ট হয়। নিজেরা বাড়িতে সারাক্ষণ টিভি দেখবেন না। তাহলে শিশুদের ওপরও এর প্রভাব পড়বে। সূত্র : ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
জীবনশৈলী, সম্পর্ক
আনন্দের রং ছড়াচ্ছে শারদীয় দুর্গোৎসব
প্রকাশ: ০৫ অক্টোবর ২০১৯ | ০০:৫৯
ষষ্ঠীপূজার মধ্য দিয়ে শুক্রবার সূচনা ঘটেছে শারদীয় দুর্গোৎসবের। এদিন দুর্গতিনাশিনী দেবীর অধিষ্ঠান, আমন্ত্রণ ও অধিবাসের মধ্য দিয়ে শুরু হয় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্বজনীন উৎসবের মূল আনুষ্ঠানিকতা। প্রথম দিন শুক্রবার বিকেলে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বনানী পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করেন। সন্ধ্যা ৭টায় বনানীর পূজার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।পাঁচ দিনব্যাপী দুর্গোৎসবের প্রথম দিনে শুক্রবার ষষ্ঠী তিথিতে মণ্ডপে মণ্ডপে দেবীর অধিষ্ঠান হয়। সকাল ৯টা ৫৭ মিনিটের মধ্যে ছিল ষষ্ঠ্যাদি কল্পারম্ভ ও ষষ্ঠীবিহিত পূজা। এ সময় বেলতলা কিংবা বেলগাছের নিচে দেওয়া হয় ষষ্ঠীপূজা। সন্ধ্যায় দেবীর আমন্ত্রণ ও অধিবাস ছাড়াও সব মণ্ডপে পুষ্পাঞ্জলি, প্রসাদ বিতরণ ও ভোগ আরতির আয়োজন করা হয়। সন্ধ্যায় বিশেষ আলোকসজ্জাসহ অনেক মণ্ডপে বিশেষ প্রার্থনা ও সঙ্গীতানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।উৎসবের দ্বিতীয় দিনে শনিবার মহাসপ্তমী। সকালে ত্রিনয়নী দেবী দুর্গার চক্ষুদানের পর সকাল ৯টা ৫৭ মিনিটের মধ্যে দেবীর নবপত্রিকা প্রবেশ, স্থাপন, সপ্তম্যাদি কল্পারম্ভ ও সপ্তমীবিহিত পূজা অনুষ্ঠিত হয়। এভাবে উৎসব চলবে আগামী মঙ্গলবার বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জন পর্যন্ত।হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় এ ধর্মীয় উৎসবকে ঘিরে দেশজুড়ে এখন আনন্দ ও উৎসাহ-উদ্দীপনার আবহ। শুক্রবার ঢাকা মহানগরীর ২৩৭টিসহ সারাদেশের ৩১ হাজার ৩৯৮টি পূজামণ্ডপে উৎসবমুখর পরিবেশে শুরু হয় দুর্গাপূজা। হিন্দুদের পাশাপাশি অন্য ধর্মের মানুষও যোগ দেওয়ায় এ উৎসব সর্বজনীন রূপ নিয়েছে। সারাদেশের মণ্ডপে মণ্ডপে ঢাকের বাদ্য, শঙ্খ আর উলুধ্বনির শব্দ দেবী দুর্গার মর্ত্যে আগমনের জানান দিচ্ছে। পূজার মন্ত্রোচ্চারণ, আরতি আর মাইকের আওয়াজে এখন মাতোয়ারা সারাদেশের পূজামণ্ডপগুলো।পূজা ঘিরে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে সারাদেশে। প্রতিটি মণ্ডপে পুলিশ, আনসার-ভিডিপির পাশাপাশি কোথাও কোথাও নিযুক্ত আছে র‌্যাব-বিজিবি সদস্য। সাদা পোশাকে গোয়েন্দা সদস্যদের সতর্ক পাহারাও আছে। অনেক মণ্ডপে আর্চওয়ে ও মেটাল ডিটেক্টরে কড়া তল্লাশির মধ্য দিয়ে মণ্ডপে প্রবেশ করতে হচ্ছে দর্শনার্থীদের। এতসব কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থায় ছেদ পড়েনি পূজার আনন্দমুখরতায়।শুক্রবার পূজা শুরু হলেও রাজধানী ঢাকার মণ্ডপগুলোতে ভক্ত-দর্শনার্থীর ভিড় তেমন একটা দেখা যায়নি। আয়োজকরা জানান, শনিবার মহাসপ্তমীতে দর্শনার্থীর ভিড় কিছুটা বাড়তে পারে। রোববার মহাষ্টমী থেকেই মূলত মন্দিরে ও মণ্ডপে ভক্ত ও দর্শনার্থীর ঢল নামবে।কেন্দ্রীয় পূজা উৎসব বলে পরিচিত ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির মেলাঙ্গনের মণ্ডপের সামনে বিশাল প্যান্ডেল ছাড়াও মন্দিরকে সাজানো হয়েছে নতুন রং, সাজ ও আলোকসজ্জায়। এখানে পুলিশের বিশেষ কন্ট্রোল রুমের পাশাপাশি পূজা উদযাপন পরিষদ কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ স্থাপন করেছে। বসানো হয়েছে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা। সকাল ও সন্ধ্যায় ষষ্ঠীপূজার নানা আনুষ্ঠানিকতার পাশাপাশি সন্ধ্যায় ভক্তিমূলক সঙ্গীতানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় এখানে। পূজা শেষে অঞ্জলি, প্রসাদ বিতরণ ও ভোগ আরতি ছিল উৎসবের অন্যতম অনুষঙ্গ। পূজার পাশাপাশি মেলাঙ্গন চত্বরে আয়োজিত হচ্ছে মেলা।একই অবস্থা গোপীবাগের রামকৃষ্ণ মিশন ও মঠ পূজামণ্ডপেও। আকর্ষণীয় প্রতিমার পাশাপাশি মণ্ডপসহ সংলগ্ন এলাকাকে বর্ণাঢ্য সাজ ও আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হয়েছে। ঐতিহ্যবাহী জগন্নাথ হল পূজামণ্ডপেও দুর্গাপূজা শুরু হয় সাড়ম্বড়ে। রমনা কালীমন্দির ও মা আনন্দময়ী আশ্রমের মণ্ডপে সন্ধ্যায় গত বছরের প্রতিমা মন্দিরের পুকুরে বিসর্জন দেওয়া হয়। মণ্ডপসহ পুরো প্রাঙ্গণ সাজানো হয়েছে বাহারি সাজে। হিন্দু অধ্যুষিত পুরান ঢাকার অলিগলিতেও উৎসবের আমেজ দেখা গেছে।গুলশান-বনানী সর্বজনীন পূজা উদযাপন পরিষদের আয়োজনে বনানীর কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ-সংলগ্ন বনানী পূজামণ্ডপে শারদীয় দুর্গোৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। অনুষ্ঠানে গুলশান-বনানী পূজা ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে ১২ বিশিষ্ট ব্যক্তিকে সম্মাননা দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য, ড. বীরেন শিকদার এমপি, একেএম রহমতউল্লাহ এমপি, জয়া সেনগুপ্ত এমপি, আকবর হোসেন পাঠান ফারুক এমপি, ভারতীয় হাইকমিশনের ডেপুটি হাইকমিশনার বিশ্বদীপ দে প্রমুখ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।রাজারবাগের বরোদেশ্বরী কালীমাতা মন্দির ও শ্মশান কমিটির পূজামণ্ডপে পূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে। এ ছাড়া মিরপুর কেন্দ্রীয় মন্দির, সিদ্ধেশ্বরী কালীমন্দির, শাঁখারীবাজারের প্রতিদ্বন্দ্বী পূজামণ্ডপ, পান্নিটোলা, জয়কালী রোডের রামসীতা মন্দির, অভয় দাস লেনের ভোলানন্দগিরি আশ্রম, রাধিকা বসাক লেন, নবেন্দ্র বসাক লেন, ঢাকেশ্বরীবাড়ী, টিকাটুলীর প্রণব মঠ, ঠাঁটারীবাজার পঞ্চানন শিবমন্দির, সূত্রাপুরের ঋষিপাড়া গৌতম মন্দির, বনগ্রাম তরুণ সংসদ, উত্তর মৈশুণ্ডী, ফরাশগঞ্জ জমিদারবাড়ি এবং বিহারীলাল জিও মন্দিরসহ বিভিন্ন মন্দির ও মণ্ডপে উৎসবের আমেজে দুর্গোৎসব শুরু হয়েছে। 
শারদীয় দুর্গোৎসব, দুর্গাপূজা, মহাসপ্তমী
নিয়ম দেখিয়ে ভোটার বাদ, নিয়ম ভেঙ্গে নতুন ভোটার
প্রকাশ: ০৫ অক্টোবর ২০১৯ | ০১:০৫ | আপডেট: ০৫ অক্টোবর ২০১৯ | ০৩:৫৩
আগা্মী ২৫ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন। এই নির্বাচন ঘিরেই এফডিসি এখন সরগরম। যেনো উৎসবের  আমেজ বইছে চিত্রপাড়ায়।  এ উৎসবের বাইরেও কিছু শিল্পীদের হৃদয়ে বইছে কান্ন। হতাশা নিয়ে এফডিসিতে আসছেন তারা। শিল্পী সমিতির সামনে বসে থেকে চলেও যাচ্ছেন। কারণ সমিতি তাদের ভোটাধিকার বাদ করে দিয়েছে। নিয়ম দেখিয়েই ভোটার থেকে বাদ করা হয়েছে বলে দাবী সমিতির গত মেয়াদের সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান।জানা গেছে গত নির্বাচনে শিল্পী সমিতির মোট ভোটার সংখ্যা ছিলো ৬২৪ জন। মিশা সওদাগর-জায়েদ খান প্যানেল বিজয়ী হওয়ার পর এ তালিকা থেকে ১৮১ জন ভোটারের ভোটাধিকার খর্ব করে কেবল সহযোগি সদস্য করা হয়েছে। যারা এবার ভোট দেয়ার অধিকার পাবেন না।  অন্যদিকে নতুন করে ২০ জন শিল্পীকে করা হয়েছে নতুন ভোটার।শিল্পী সমিতির ২০১৯-২০ মেয়াদের নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা হচ্ছে ৪৪৯ জন। গত ৩০ সেপ্টেম্বর শিল্পী সমিতির কার্যালয়ের বোর্ডে ভোটারদের এই চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করেছে এবারের নির্বাচন কমিশন। সমকাল অনলাইনের কাছে বাদ পড়া ওইসব ভোটার অভিযোগের আঙ্গুল তুলেছে মিশা-জায়েদের নামে। তারা বলছেন, গঠনতন্ত্রের যে ধারার উপর ভিত্তি করে তাদের বাদ দেয়া হয়েছে আবার একই ধারাকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে অনেককে  সদস্য করেছে মিশা-জায়েদ। গঠনতন্ত্রের যে ধারা নিয়ে কথা উঠেছে সেটি শিল্পী সমিতির গঠনতন্ত্রের ৫(ক) ধারা। যেখানে স্পষ্ট করে লেখা আছে,  বাংলাদেশে মুক্তি পাওয়া ন্যুনতম পাঁচটি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে অবিতর্কিত গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করতে হবে। কার্যকরি পরিষদের আবেদন গৃহিত হলেই তিনি পূর্ণ সদস্যপদ পাবেন। ভোটাধিকার এবং কার্যকরি পরিষদের যে কোন পদের জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।  আর আবেদনকারীকে অবশ্যই  পেশাগতভাবে চলচ্চিত্রের অভিনয়শিল্পী হতে হবে।এ ধারাকে সামনে এনেই ১৮১ জন পূর্ণ সদস্যের ভোটাধিকার বাদ করে তাদের সহযোগি সদস্য করে রাখা হয়েছে। অন্যদিকে আবার গঠনতন্ত্রের এ ধারার বাইরে গিয়ে বেশ কিছু শিল্পীকে সদস্য করা হয়েছে। যাদের অধিকাংশেরই পাঁচটি ছবি মুক্তি পায়নি। এর মধ্যে রয়েছে ডি এ তায়েব, যার মুক্তিপ্রাপ্ত ছবির সংখ্যা ২, মিষ্টি জান্নাতের ছবির সংখ্যা ৪, আসিফ নূরের ছবির সংখ্যা ২, বেগম প্রেমার ছবির সংখ্যা৩, বিন্দিয়া কবিরের ছবির সংখ্যা ৩, আরিয়ান শাহ ছবির সংখ্যা ২, শ্রাবন শাহর ছবির সংখ্যা ২, জেবা চৌধুরীর ছবির সংখ্যা ১। এছাড়াও নতুন সদস্য ও ভোটাধিকার দেয়া শিরিন শিলার মুক্তিপ্রাপ্ত ছবির সংখ্যা ৪, এইচ আর অন্তরের ১, সানজু জনের ৪, জলিলের ৩, তানহা তাসনিয়ার ৩ টি এবং তিনটি  ছবি মুক্তি পেয়েছে চিত্রনায়িকা জলির। তিনিও ভোটার সমিতির। এ তালিকায় আর অনেক শিল্পীই রয়েছে। যাদের গঠনতন্ত্র মোতাবেক ৫ পাঁচটি ছবি মুক্তি পায়নি। তারাও এবারের নির্বাচনে ভোট দেয়ার অধিকার পাচ্ছেন। আবার একই নিয়মে চিত্রনায়িকা অধরা খানকে দুটি ছবির প্রধান নায়িকা হওয়া সত্বেও বাদ দেয়া হয়েছে। একই ধারায় নায়ক শান, ফিরোজ শাহকেও বাদ দেয়া হয়েছে। শাকিব খান ও অমিত হাসানের আমলে ৫০ হাজার টাকা ফি দিয়ে ভোটার হয়েছেন শান। মিশা-জায়েদ এসে বাদ দিয়েছে তাকে। কিন্তু তার ৫০ হাজার টাকার কোন রফা করেনি এ কমিটি।এ ছাড়া্ও সমিতির সদস্য পারভীন ও মিজানুর রহমান যথাক্রমে ২০০ এবং দুই হাজারের বেশি ছবিতে অভিনয় করেছেন। সমিতির প্রায় শুরু থেকেই ভোট দিয়ে আসছেন তারা। তাদেরও বাদ দেয়া হয়েছে ভোটার তালিকা থেকে। এই পারভিন জোড় গলায় দাবী করে বলেন, আমি যতগুলো ছবিতে অভিনয় করেছি জায়েদ খান ততগুলো ছবি সাইনও করতে পারেনি। সেই জায়েদ নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর আমাদের লাথি দিযে বের করে দিয়েছে শিল্পী সমিতি থেকে। বলে, আমরা নাকী শিল্পী না। নায়ক-নায়িকার সঙ্গে সহযোগি চরিত্রে কাজ করলে  সে শিল্পী হয় না এটা কোন ধারায় লেখা আছে?বিষয়গুলো নিয়ে কথা হয় সমিতির গত মেয়াদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক মিশা সওদাগর ও জায়েদ খানের সঙ্গে। মিশা সওদাগর বলেন, এটা আমাদের একক সিদ্ধান্ত নয়। কার্যকরি পরিষদের সদস্য ও উপদেষ্টা পরিষদ মিলেই ভোটার তালিকা সংশোধন করা হয়েছে। তবে সংশোধনের এ তালিকায় কিছু আসল সদস্যও বাদ পড়েছে হয়তো। মানুষ তো ভুলের উর্ধ্বে নয়। চাল বাচতে গেলে তো কিছু ভালো চালও পড়ে যায়। আমাদের বেলায়ও হয়তো এমন কিছু হয়েছে।’মিশা সওদাগরের সঙ্গে একমত পোষণ করেন জায়েদ খানও। তবে দ্বিমত দেন মিশা-জায়েদ কমিটির সহসভাপতি চিত্রনায়ক রিয়াজ।  তিনি বলেন, এটা আবার কোন ধরনের নিয়ম। একই নিয়ম দেখিয়ে একজনকে বাদ দিবেন আবার অন্যজনকে নিবেন। যাদের বাদ দেয়া হয়েছে তারা কী শিল্পী না? তারা কেনো ভোট দিতে পারবে না?  গঠনতন্ত্রের বাইরে গিয়ে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিতে একাধিক শিল্পীকে পূর্ণ সদস্যপদ দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ২০১৬-১৭ মেয়াদের শাকিব-অমিত কমিটি থাকাকালীন এ অনিয়ম হয়েছে বলে জানা যায়। ২০১৭ সালের ৫ মে নির্বাচনের ঠিক আগে ৮২ জনকে নতুন পূর্ণ সদস্যপদ দিয়ে ভোটাধিকার দেয় শাকিব-অমিত কমিটি। এ অভিযোগ শিল্পী সমিতির বর্তমান কমিটির।
জায়েদ খান, মিশা সওদাগর, রিয়াজ
এরশাদের আসনের উপনির্বাচন নিয়ে সন্তুষ্ট নন বিএনপির প্রার্থী
প্রকাশ: ০৫ অক্টোবর ২০১৯ | ০১:৫০
দলীয় নেতাকর্মীদের বাড়িতে পুলিশ দিয়ে অভিযান পরিচালনা ও পোস্টার ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ করে রংপুর-৩ (সদর) আসনের উপনির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী রিটা রহমান বলেছেন, আমরা নির্বাচন নিয়ে সন্তুষ্ট হতে পারছি না। শনিবার সকালে রংপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের তিনি জানান, ধানের শীষের নির্বাচনী প্রচারণায় থাকায় কারমাইকেল কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি রবিউল ইসলামকে পুলিশ গ্রেফতার করে নিয়ে গেছে। ভোটের আগের রাতে সদর উপজেলার সকল ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়িতে পুলিশ দিয়ে অভিযান পরিচালনা করেছে। আওয়ামী লীগের উপজেলার সভাপতি বিএনপি নেতাকর্মীদের ফোন করে বাড়ি থেকে সরে যাওয়ার জন্য বলেছে। এতে করেই পরিস্কার হওয়া যায়, পুলিশ দিয়ে নির্বাচনে বিএনপি নেতাকর্মীদের হয়রানি করা হয়েছে।  রিটা রহমান বলেন, সাধারণ মানুষ ও ভোটারদের নির্বাচন কমিশনের প্রতি আস্থা উঠে গেছে। গত নির্বাচনে কি ধরনের দুর্নীতি হয়েছে মানুষ দেখেছ। গোটা বিশ্বের মানুষ এটার স্বাক্ষী। নির্বাচন কমিশন রাষ্ট্রের একটি প্রতিষ্ঠান। এই ধরনের প্রতিষ্ঠানের পক্ষপাতমূলক আচারণ দেশের নাগরিক ও রাষ্ট্রের জন্য লজ্জাজনক। তিনি বলেন, মানুষের নির্বাচন কমিশনের প্রতি আস্থা না থাকলেও একই নির্বাচন কমিশন একইভাবে নির্বাচন করছে। আমাদের ওপর ইভিএম চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। ইভিএমে নির্বাচন নিয়ে নির্বাচন কমিশনে বারবার অভিযোগ দিলেও আমরা কোন ফল পাইনি। আমরা নির্বাচন নিয়ে সন্তুষ্ট হতে পারছি না। ইউনিয়নগুলোতে আমাদের পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে। এ সময় জেলা বিএনপির সভাপতি সাইফুল ইসলাম, মহানগর বিএনপির সহসভাপতি সামসুজ্জামান সামু, সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম মিজু, মহানগর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া ইসলাম জীমসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।গত ১৪ জুলাই ঢাকায় সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান রংপুর-৩ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। ১৬ জুলাই সংসদ সচিবালয় আসনটি শূন্য ঘোষণা করে।
রংপুর, রংপুরে ভোট, রংপুর-৩ আসনের উপনির্বাচন, এশরাদের আসনে ভোট, বিএনপি, বিএনপি প্রার্থী, রিটা রহমান
হাসিনা-মোদি বৈঠক
প্রকাশ: ০৫ অক্টোবর ২০১৯ | ০১:৫১ | আপডেট: ০৫ অক্টোবর ২০১৯ | ০২:৫৩
নয়াদিল্লিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।শনিবার ঐতিহাসিক হায়দ্রাবাদ হাউজে স্থানীয় সময় সাড়ে সকাল ১১টায় এই দ্বিপাক্ষিক এই আলোচনা শুরু হয়। এর আগে দুই নেতা কিছুক্ষণ একান্তে কথা বলেন। খবর বাসসেরদুই নেতার এই বৈঠকে আঞ্চলিক এবং দ্বিপক্ষীয় স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় যেমন- রোহিঙ্গা ইস্যু, দুই দেশের মধ্যকার অভিন্ন নদীগুলোসহ তিস্তার পানি বণ্টন, নিরাপত্তা, ব্যবসা-বাণিজ্যের ভারসাম্য এবং লাইন অব ক্রেডিট (এলওসি) প্রভৃতি বিষয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চারদিনের সরকারি সফরে গত বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লি এসেছেন। টানা তৃতীয় মেয়াদে সরকার গঠনের পর এটাই তার প্রথম ভারত সফর। তিনি ২০১৭ সালের এপ্রিলে সর্বশেষ ভারত সফর করেন।বৈঠকের পর দুই প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে দুই দেশের মধ্যে বেশ কিছু দ্বিপক্ষীয় চুক্তি এবং সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হওয়ার কথা রয়েছে।বৈঠকের পর হায়দ্রাবাদ হাউজে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্মানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আয়োজিত মধ্যাহ্ন ভোজেও তিনি যোগদান করবেন ।এদিনই বিকেল সাড়ে ৪টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারতের রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দের সঙ্গে রাষ্ট্রপতি ভবনে সৌজন্য স্বাক্ষাতের কথা রয়েছে।চারদিনের সরকারি সফর শেষে রোববার প্রধানমন্ত্রীর দেশে ফেরার কথা।
প্রধানমন্ত্রী, শেখ হাসিনা, হাসিনা-মোদি বৈঠক, প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর
বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছি: তনিমা
প্রকাশ: ০৫ অক্টোবর ২০১৯ | ০১:৫২
তনিমা হামিদ। অভিনয়শিল্পী। দীর্ঘ বিরতির পর 'নানা স্বাদে রাঁধুনী'র উপস্থাপনা নিয়ে টিভিতে হাজির হচ্ছেন তিনি। মঞ্চে তিনি ব্যস্ত নাট্যচক্রের 'আ ওমেন অ্যালোন' একক নাটকে অভিনয় নিয়ে। উপস্থাপনা ও অন্যান্য প্রসঙ্গে কথা হলো তার সঙ্গে-পাঁচ বছর পর আবারও ছোট পর্দায় ফিরলেন। তাও অভিনয়ে নয় রান্নার অনুষ্ঠান উপস্থাপনা নিয়ে। হঠাৎ এমন অনুষ্ঠানে আগ্রহী হলেন ...পাঁচ বছর ধরে আমি একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছি। সেখানে অনেক বেশি সময় দেওয়ায় টিভি নাটকে অভিনয় থেকে দূরে ছিলাম। কয়েক মাস আগে যখন 'নানা স্বাদে রাঁধুনী'র অনুষ্ঠানের কথা শুনলাম, তখন মনে হলো এটা করা যায়। কারণ এখানে শুধু রেসিপি কিংবা রান্না দেখানো হবে তা নয়, দেশি খাবারের পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের ঐতিহ্যবাহী খাবারও উপস্থাপন করা হবে। দেশের প্রখ্যাত শেফরা তাদের বিভিন্ন রেসিপি নিয়ে হাজির হবেন প্রতি পর্বে। এ ছাড়া থাকবে কুকিং টিপস, রান্নাঘর ব্যবস্থাপনা, কাটিং প্রসেসের খুঁটিনাটি। ফলে বলা যেতে পারে, এটি গৎবাঁধা রান্নার অনুষ্ঠান নয়।টিভি নাটকে আবারও দেখা যাবে আপনাকে?টিভি নাটকে অভিনয়ে আমার কখনও আপত্তি ছিল না। কিন্তু এখন যেসব গল্পের নাটকে অভিনয়ের জন্য আমার কাছে প্রস্তাব আসে, তার প্রায় সবইএকই ধরনের। তাই আর মন ছোট পর্দায় অভিনয়ে মন টানে না। মঞ্চ আমার জীবন। মঞ্চে নিয়মিত অভিনয় করছি।সম্প্রতি সৈয়দ মহিদুল ইসলাম 'মঞ্চ বন্ধু'সম্মাননা পেয়েছেন। এটাই তো মঞ্চে আপনার প্রথম সম্মাননা ...এক কথায় অসাধারণ। প্রথমবার সম্মাননা প্রাপ্তির আনন্দ বলে বোঝানো যাবে না। অভিনয়ে শুদ্ধতম স্থান মঞ্চ। প্রত্যেকটি মানুষেরই কাজের বিশেষ দুর্বল জায়গা থাকে। মঞ্চই আমার সেরকম একটা জায়গা। মঞ্চ থেকে সম্মাননা পাওয়া আমার জন্য বড় ব্যাপার।এই সময়ে মঞ্চের সার্বিক পরিস্থিতি কেমন বলে মনে করেন?মঞ্চনাটক নিয়ে আমি ভীষণ আশাবাদী। মঞ্চে প্রতিনিয়ত নিরীক্ষাধর্মী কাজ হচ্ছে। তরুণ প্রজন্মের মধ্যে থিয়েটারের প্রতি আগ্রহ বেড়েছে। এর পরও কিছু সীমাবদ্ধতার সম্মুখীন হতে হয় আমাদের। থিয়েটারের প্রধান প্রতিবন্ধকতা হলো হল সংকট ও ট্রাফিক জ্যাম। যেমন উত্তরা কিংবা মিরপুরে মঞ্চনাটক দেখার কোনো ব্যবস্থা নেই।
তনিমা হামিদ, অভিনয়শিল্পী, সাক্ষাৎকার
দৌলতদিয়া-পাটুরিয়ায় ফেরি চলাচলও বন্ধ
প্রকাশ: ০৫ অক্টোবর ২০১৯ | ০২:০২
আগ্রাসী হয়ে ওঠা প্রমত্তা পদ্মার তীব্র স্রোতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়ায় স্বাভাবিকভাবে চলতে পারছে না নৌযান। এই রুটে চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠায় শুক্রবার দুপুর ১ টা থেকে বন্ধ রয়েছে লঞ্চ চলাচল। এবার তীব্র স্রোতে ফেরি চলাচলও বন্ধ হয়ে গেছে।শনিবার দুপুর পৌনে ২টা থেকে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়ার সবগুলো ঘাটে ছোট-বড় সব ধরণের ফেরি চলাচল বন্ধ করে ফেরিগুলো নোঙর করা হয়।এদিকে শুক্রবার দৌলতদিয়া ১নং ফেরি ঘাট নদী ভাঙনের কবলে পড়ে পদ্মায় বিলীন হয়ে গেছে। এছাড়া ২নং ফেরি ঘাটও যে কোনো সময় নদীতে হারিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন ঘাট কর্তৃপক্ষ। ফলে দৌলতদিয়া প্রান্তে নদী পারের অপেক্ষায় সড়কে আটকা পড়েছে শত শত পণ্যবাহী ট্রাকসহ অসংখ্য যানবাহন।গত ২৪ ঘন্টায় রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া গেজ স্টেশন পয়েন্টে পদ্মা নদীর পানি ৫ সেন্টিমিটার কমে বিপদসীমার ৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। হঠাৎ পদ্মার পানি বৃদ্ধিতে জেলার প্রায় ৪ হাজার পরিবার পানি বন্দী হয়েছে পড়েছেন। এছাড়া নদী ভাঙ্গন শুরু হয়েছে জেলার বিভিন্ন স্থানে।বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট ব্যাবস্থাপক (বাণিজ্য) আবু আব্দুল্লাহ রনি শনিবার সকালে জানান, তীব্র স্রোতে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচলও ব্যাহত হচ্ছে। ভাঙনে ১নং ফেরি ঘাট ইতিমধ্যে নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। ২নং ঘাটটিও ঝুঁকিতে থাকায় সেটি বন্ধ রয়েছে।
পদ্মা নদী, তীব্র স্রোত, ফেরি চলাচল বন্ধ, দৌলতদিয়া, পাটুরিয়া, গোয়ালন্দ
মা-বোনের সঙ্গে পূজা মণ্ডপে কাজল
প্রকাশ: ০৫ অক্টোবর ২০১৯ | ০২:১০ | আপডেট: ০৫ অক্টোবর ২০১৯ | ০২:১৬
কলকাতার মতো মুম্বাইয়েও ছড়িয়ে পড়েছে দুর্গাপূজার আনন্দ। পূজার আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে পূজা মণ্ডপে হাজির হচ্ছেন বলিউডের তারকারা। শুক্রবার ষষ্ঠীর দিন ঐতিহ্যবাহী সাজে বলিউডের অভিনেত্রী কাজল, তার মা তনুজা আর বোন তানিশাকে একসঙ্গে দেখা গেছে মুম্বাইয়ের এক পূজা মণ্ডপে।ওইদিন কাজলের পরনে ছিল গোল্ডেন রঙের এব্রয়ডারির কাজসহ গর্জিয়াস লাল কুর্তি । সঙ্গে ছিল মানানসহ ওড়না আর প্রিন্টের পালাজ্জো । দেবী দূর্গার ওপর নিজের ভক্তির কথা জানিয়ে কাজল বলেন, ‘ আমার স্বামীর পরিবারের সবাই দেবী দূর্গার ভক্ত। এ উৎসব আমরা পূর্ণ বিশ্বাস থেকেই উদযাপন করি।’ ওইদিন কাজলের বোন তানিশার পরনে ছিল গোলাপি রঙের বাঙালি শাড়ি। তিনি জানান, শাড়িটি তার মা তাকে গত বছর দুর্গা পূজা উপলক্ষ্যে উপহার দিয়েছিলেন। তিনি বলেন, ‘ কর্মব্যস্ত জীবনে কোনো উৎসব হলেই পরিবারের সঙ্গে একত্রিত হই। পূজার সময়, অনেক লোককে ভোগ খাইয়ে আনন্দ পাই।’পূজা মণ্ডপে দুই মেয়ের সঙ্গে ওইদিন দ্যুতি ছড়াচ্ছিলেন এক সময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী তনুজাও। তার পরনে ছিল হালকা রঙের প্রিন্টের শাড়ি। তনুজা বলেন , ‘ দেশের টিকিয়ে রাখতে ঐতিহ্যগুলো ধরে রাখা জরুরি। দুর্গাপূজা এমন একটি উৎসব যা সবাইকে একত্রিত করে। এ উৎসবে সব ধর্মের মানুষই একত্রিত হতে পারেন।’ কাজল এরই মধ্যে  ইনস্টাগ্রামে পুজার প্রথম দিন ষষ্ঠী ক্যাপশনে বেশ কয়েকটি ছবি পোস্ট করেছেন। ষষ্ঠীর সাজের ছবি পোস্ট করেছেন তানিশাও।কাজলকে শেষ দেখা গিয়েছিল ‘হেলিকপ্টার ইলা’ ছবিতে। তানিশা অবশ্য বহুদিন ধরেই ছবির জগত থেকে সরে এসেছেন। অন্যদিকে, তনুজাকে পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ের পরিচালনায় ‘সোনার পাহাড়’ ছবিতে দেখা গিয়েছিল।  সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস
বিনোদন, বলিউড
বিয়ানীবাজার থানা জনকল্যাণ সমিতি ইউকের নতুন কমিটির অভিষেক
প্রকাশ: ০৫ অক্টোবর ২০১৯ | ০২:৩৬ | আপডেট: ০৫ অক্টোবর ২০১৯ | ০৮:৪৭
ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হয়েছে বিয়ানীবাজার থানা জনকল্যাণ সমিতি ইউকের নবগঠিত কমিটির অভিষেক ও গ্র্যাজুয়েশন অনুষ্ঠান। সোমবার সন্ধ্যায় পূর্ব  লন্ডনের ইম্প্রেশন ইভেন্ট ভেন্যু বাঙালি কমিউনিটির বিশিষ্টজন ও বিয়ানীবাজারবাসীর মিলনমেলায় পরিণত হয়। এতে সংগঠনের সভাপতি মামুন রশীদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক কামরুল হোসেন মুন্নার পরিচালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বেথনাল গ্রিন ও বো আসনের এমপি রোশনারা আলী। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের মেয়র জন বিগস, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও উপদেষ্টা বিয়ানীবাজারের প্রবীণ ব্যক্তিত্ব আলহাজ শামসুদ্দিন খান ও বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সাবেক বিরোধীদলীয় হুইপ সেলিম উদ্দিন।অনুষ্ঠানের শুরুতে ১২৭ সদস্য বিশিষ্ট নতুন কমিটির সবাইকে পরিচিত করিয়ে দেন বাংলাদেশ সেন্টার লন্ডনের সাধারণ সম্পাদক ও বিয়ানীবাজার ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট ইউকে’র সভাপতি মো. দেলওয়ার হোসেন। অনুষ্ঠানে ব্রিটিশ বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়।অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের ডেপুটি মেয়র সিরাজুল ইসলাম, ডেপুটি মেয়র আসমা বেগম,স্পিকার ভিক্টোরিয়া ওবাজি, ডেপুটি স্পিকার আহবাব আহমদ,ব্যারিস্টার আতাউর রহমান আতা, সাবিনা খান, হেলাল উদ্দিন আব্বাস, কাউন্সিলার আয়শা চৌধুরী, রাবিনা খান, আসমা ইসলাম, শাহ সুহেল আমীন, রিতা বেগম, শাহগীর বখত ফারুক, ডা. আলা উদ্দিন, ইউরোপিয়ান প্রবাসী বাংলাদেশি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শাহানুর খান, মুক্তিযোদ্ধা আতিকুর রহমান খান আনা, আসুক আহমদ এমবিই, মনোজ্জির আলী, লন্ডন টাইগার্সের সিও মেসবা আহমদ, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক শাহ শামীম আহমদ, বিয়ানীবাজার ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট ইউকের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আহমদ রাজু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলী বেবুল, বিয়ানীবাজার পৌর উন্নয়ন সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আকবর হোসেন রবিন, বিয়ানীবাজার থানা জনকল্যাণ সমিতির কোষাধ্যক্ষ জাকির হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মুজিব রহমান, ক্রীড়া সম্পাদক খালেদ আহমদ ডালিম।অনুষ্ঠান উপলক্ষে সমিতির প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক জুবের আহমদের সম্পাদনায় ‘অগ্রযাত্রা’ নামে একটি সংকলন প্রকাশ করা হয়। অগ্রযাত্রা সংকলনের মোড়ক উন্মোচন করেন ব্যারিস্টার মাসুদ চৌধুরী, লন্ডন বাংলা প্রেস ক্লাবের নির্বাহী সদস্য ও দর্পন সম্পাদক রহমত আলী, সাপ্তাহিক দেশ পত্রিকার সম্পাদক তাইসির মাহমুদ, ৫২ বাংলাটিভিডটকম'র সম্পাদক আনোয়ারুল ইসলাম অভি, চ্যানেল এস’র রিপোর্টার ফয়সল মাহমুদসহ কমিটির কর্মকর্তা ও সদস্যবৃন্দ।অনুষ্ঠানে সমিতির অন্যতম দুই প্রতিষ্ঠাতা সদস্যকে মরণোত্তর সম্মাননা প্রদান করা হয়।তারা হলেন– সমিতির সাবেক সভাপতি আলহাজ আব্দুল মতলিব ও সাবেক উপদেষ্টা মৌলানা ইজ্জাদ আলী। অনুষ্ঠান শেষে ছিল নৈশভোজ ও চায়ের আড্ডা। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
বিয়ানীবাজার থানা জনকল্যাণ সমিতি ইউকে
প্রাণ গেল সন্তানের, বাবার অবস্থাও আশঙ্কাজনক
প্রকাশ: ০৫ অক্টোবর ২০১৯ | ০৩:০৩
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় রিসা আক্তার নামে সাত বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এ সময় শিশুটির বাবাও গুরুতর আহত হন। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।শনিবার সকাল সাড়ে ১১টার উপজেলার সাতমেড়া এলাকায় বাংলাবান্ধা-ঢাকা মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে। রিসা স্থানীয় একটি মাদ্রাসার শিশু শ্রেণির শিক্ষার্থী। পুলিশ জানায়, ওই এলাকার রবিউল ইসলাম মাদ্রাসা থেকে তার মেয়ে রিসাকে নিয়ে মোটরসাইকেলে বাড়ি ফিরছিলেন। সাতমেরা এলাকায় রাস্তা পার হওয়ার সময় তেঁতুলিয়াগামী একটি যাত্রীবাহী মিনিবাস তাদের ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই শিশুটি মারা যায়। গুরুতর আহতাবস্থায় শিশুটির বাবা রবিউল ইসলামকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।এদিকে মিনিবাসটি দ্রুত গতিতে পালানোর সময় ঘটনাস্থলের এক কিলোমিটার দূরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে গেলে ১০ যাত্রী আহত হন। আহতদের কয়েকজনকে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।তেঁতুলিয়া হাইওয়ে থানা পুলিশের ওসি আব্দুল্লাহ হেল বাকী বলেন, ঘটনার পর চালক পালিয়ে গেছেন। তবে বাসটি জব্দ করা হয়েছে। নিহতের মরদেহ আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।
পঞ্চগড়, সড়ক দুর্ঘটনা, বাসচাপায় মৃত্যু
সমকাল লাইভে কণ্ঠশিল্পী আরফিন রুমি
প্রকাশ: ০৫ অক্টোবর ২০১৯ | ০৩:০৪ | আপডেট: ০৫ অক্টোবর ২০১৯ | ০৩:০৭
দৈনিক সমকালের সাপ্তাহিক আয়োজন ‘সমকাল সন্ধ্যা’য় আজকে অতিথি হয়ে আসছেন জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী আরফিন রুমি। অনু্ষ্ঠানটি সন্ধ্যা ৬টা ১৫ মিনিটে  সমকালের ফেসবুক পেজ ও ওয়েব সাইটে সরাসরি দেখ যাবে। সেই সঙ্গে দর্শকরা প্রশ্ন করার সুযোগ পাবেন প্রিয় এই তারকাকে। দীর্ঘ বিরতির পর রুমির গানে ফেরা, একের পর এক নতুন প্রকাশ এ ক্যারিয়ারের বাঁক বদল ও ব্যক্তি রুমির নানা প্রসঙ্গ নিয়ে আজ আড্ডা হবে রুমির সঙ্গে।  আড্ডার পুরোটা সময় জুড়ে রুমির সঙ্গে থাকবেন জুম্মাতুল বিদা। গায়ক, সুরকার এবং সংঙ্গীত পরিচালক আরফিন রুমি বাংলাদেশের সঙ্গীতাঙ্গনে বেশ জনপ্রিয় শিল্পীদের মধ্যে অন্যতম। ২০১১ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত বাংলা গানে একতরফা রাজত্ব ছিল তার। এই সময়ের মধ্যে ৩০ টিরও বেশি অ্যালবাম মুক্তি পেয়েছে রুমির। যার মধ্যে রয়েছে একক এবং মিশ্র কাজ। ক্যারিয়ারের মাঝামাঝি সময়ে নানা কারণে গান থেকে বিরতি নেন তিনি। গানের দুনিয়া ছেড়ে চলে যান অন্য এক জগতে। স্রষ্ঠা ইবাদত আর ধ্যানে মশগুল হোন। খুঁজে ফিরেন সৃষ্টির অপার সৌন্দর্য।  ১৮ মাসের সেই জার্নি শেষে আবার গানে ফিরেছেন তিনি। এখন নিয়মিতই গান প্রকাশ করছেন এ গায়ক। 
আরফিন রুমি, সমকাল লাইভ, সমকাল সন্ধ্যা
এবার সুযোগ মিলবে তো লেগিদের
প্রকাশ: ০৫ অক্টোবর ২০১৯ | ০৩:২০
বিদেশি কোচরা এসেই লেগ স্পিনারের সন্ধান করেন। চান্দিকা হাথুরুসিংহে তো নেট থেকেই তুলে এনেছিলেন জুবায়ের হোসেন লিখনকে। রাসেল ডমিঙ্গোরা দায়িত্ব নেওয়ার পরই লেগ স্পিনারদের দেখতে চেয়েছেন। আফগানিস্তানের কাছে টেস্ট হারের পর লেগ স্পিনারের জন্য দাবি জোরালো করেছেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। একাধিক সংবাদ সম্মেলনে লেগ স্পিনারের জন্য আক্ষেপ করেছেন তিনি। এই শূন্যতা কাটিয়ে উঠতেই ইমার্জিং দলের ক্রিকেটার আমিনুল ইসলাম বিপ্লবকে নেওয়া হয়েছিল ত্রিদেশীয় টি২০ সিরিজে। টি২০ অভিষেকটা ভালোও হয় বিপ্লবের। তার বোলিং এবং খেলার মেজাজ দেখে খুশি টিম ম্যানেজমেন্ট।অথচ এই লেগ স্পিনাররা জানেন না, জাতীয় লীগে ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবেন কি-না। বিসিবির নির্বাচকদের কাছেও এর উত্তর নেই। ঢাকার ক্লাব ক্রিকেটে কোনো কালেই লেগ স্পিনারদের কদর ছিল না। বিভাগীয় দলের কোচরাও লেগ স্পিনারদের ওপর কোনো দিনই সেভাবে আস্থা রাখেননি। জাতীয় লীগ বিসিবির টাকায় হলেও নির্বাচকরা কোচদের ওপর কোনো প্রভাব খাটাতে পারেন না। তাই কোচদের অনুরোধ করাই নির্বাচকদের চেষ্টার দৌড়।দেশে লেগ স্পিনার আছেই হাতেগোনা কয়েকজন- আমিনুল ইসলাম বিপ্লব, নাজমুল আবেদীন আফ্রিদি, জুবায়ের হোসেন লিখন, রিশাদ হোসেন ও তানভীর হায়দার। তাদের মধ্যে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারের স্বীকৃতি আছে তানভীর ও লিখনের। ২৭ বছর বয়সী তানভীর লম্বা সময় জাতীয় পর্যায়ে ক্রিকেট খেলেও নিজেকে আন্তর্জাতিক মানে নিয়ে যেতে পেরেছেন কি-না সেটা বড় প্রশ্ন। তার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার থেমে আছে দুটি ওয়ানডে ম্যাচে। অথচ প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৬৯ ম্যাচে ১১৪টি উইকেট আছে এ লেগ স্পিনারের।টেস্ট দল দূরে থাক 'এ' দলের খেলাগুলোতেও খুব একটা সুযোগ দেওয়া হয় না তাকে। ১০ অক্টোবর থেকে অনুষ্ঠেয় ২১তম জাতীয় লীগকে গুরুত্বের সঙ্গে নিতে চান রংপুরের এ ক্রিকেটার,' আমার স্বপ্ন টেস্ট খেলা। এই মৌসুমে আমার লক্ষ্য হলো ভালো কিছু করে টেস্ট দলের ঢোকার চেষ্টা করা। উপমহাদেশে টেস্ট অভিষেক হলে ভালো করতে পারব।' জাতীয় লীগে তানভিরের ম্যাচ খেলা নিয়ে কোনো সমস্যা নেই। রংপুর বিভাগে নিয়মিতই ম্যাচ খেলার সুযোগ পান তিনি। এবারের লীগে একটু বেশি ওভার বোলিং করার সুযোগ পেলে খুশি হবেন তিনি।হাথুরুসিংহের আবিস্কার লিখনকে নিয়েও খুব একটা ভাবে না বোর্ড। অভিষেকের এক বছরের মাথায় জাতীয় দল থেকে ছিটকে যাওয়া এই স্পিনার গত পাঁচ বছর ধরেই ম্যাচ খেলার আকুতি জানাচ্ছেন। ঢাকা প্রিমিয়ার লীগে নিয়মিত খেলার সুযোগ পান না। জাতীয় লীগের কোচরাও খেলান না জামালপুরের এ লেগ স্পিনারকে। এ বছর ঢাকা বিভাগীয় দলের কোচিং স্টাফে পরিবর্তন এসেছে। জুবায়ের আশা, জাতীয় লীগে এবার নিয়মিত ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবেন তিনি। আর সুযোগ পেলে নিজেকে ভালোভাবে তৈরি করার একটা প্রতিজ্ঞা নিয়েছেন, 'এবার অনেক পরিশ্রম করেছি। আমি চাই ম্যাচ খেলতে। ম্যাচ খেলার সুযোগ পেলে অবশ্যই কাজে লাগাব।'বাকি তিন লেগ স্পিনার মধ্যে রিশাদ (ব্যাকআপ) অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে শ্রীলংকা অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বিপক্ষে দেশে চারদিনের ক্রিকেটের সিরিজ খেলবেন। এ কারণে তার জাতীয় লীগে খেলা হবে না বলে জানান নির্বাচক হাবিবুল বাশার। বিপ্লব খেলবেন ঢাকার দলে। বাশার আশাবাদী, বিকেএসপির এই তরুণ লেগ স্পিনার নিয়মিত ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবেন। লিখনের মতো আফ্রিদির নিয়মিত ম্যাচ পাওয়া নিয়ে চিন্তায় আছেন নির্বাচকরা। বাশার গতকাল সমকালকে বলেন, 'আমরা কোচদেরঅনুরোধ করেছি লেগ স্পিনারদের নিয়মিত খেলাতে। দেশের কথা ভেবে কোচরা আমাদের একটু সহযোগিতা করলে খুশি হবো।' জাতীয় লীগ বিসিবির টাকা এবং কোচিং স্টাফ দিয়ে হলেও বিভাগের কর্মকর্তাদের চাপের কাছেই যেন হেরে যায় সবাই। তাই বিসিবি নির্বাচকদের কণ্ঠেও থাকে অসহায়ত্বের আকুতি।
খেলা, ক্রিকেট, বাংলাদেশ, জাতীয় লিগ
বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক বিশ্ববাসীর কাছে দৃষ্টান্ত: প্রধানমন্ত্রী
প্রকাশ: ০৫ অক্টোবর ২০১৯ | ০৩:৩৪ | আপডেট: ০৫ অক্টোবর ২০১৯ | ০৩:৫৬
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার সম্পর্ক বিশ্ববাসীর কাছে সু-প্রতিবেশীসুলভ সম্পর্কের দৃষ্টান্ত– একথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশা প্রকাশ করেছেন, দুই দেশের মধ্যকার এই সম্পর্ক ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।শনিবার নয়াদিল্লির হায়দ্রাবাদ হাউজে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'বিগত এক দশকে আমাদের উভয় দেশের মধ্যে বিভিন্ন প্রথাগত খাত যেমন নিরাপত্তা, বাণিজ্য, বিদ্যুৎ, জ্বালানি, যোগাযোগ, অবকাঠামো উন্নয়ন, জলবায়ু ও পরিবেশ, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, শিক্ষা, সংস্কৃতি, জনযোগাযোগ বৃদ্ধি এবং স্বাস্থ্য প্রভৃতি খাতে সহযোগিতা প্রভূত পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে। এর পাশাপাশি বিভিন্ন নতুন ও অপ্রচলিত খাত যেমন ব্লু-ইকোনমি এবং মেরিটাইম, পরমাণু শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহার, মহাকাশ গবেষণা, ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ রপ্তানি ও সাইবার সিকিউরিটি প্রভৃতি খাতে উভয় দেশের সহযোগিতার হাত সম্প্রসারিত হয়েছে।'তিনি বলেন, 'এ সকল বহুমুখী ও বহুমাত্রিক সহযোগিতার ফলে আমাদের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বিশ্ববাসীর সম্মুখে সু-প্রতিবেশীসুলভ সম্পর্কের দৃষ্টান্তরূপে পরিগণিত হচ্ছে। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, ভবিষ্যতেও এ সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।'বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের শুরুর দিককার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, 'আমাদের উভয় দেশের মধ্যকার এই সম্পর্কের শুভ সূচনা হয়েছিল ১৯৭১ সালে যখন বাংলাদেশের আপামর জনসাধারণ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে মহান মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। এই মুক্তিযুদ্ধে ভারতের জনগণ ও সরকারের অপরিসীম অবদানের কথা আমরা চিরদিন কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করি। আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে ক্ষেত্রে তা এক মাইলফলক হিসেবে পরিগণিত হয়।'প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'বাংলাদেশ হতে ভারতে এলপিজি রপ্তানির সিদ্ধান্ত আমাদের উভয় দেশের মধ্যে বিদ্যমান বাণিজ্যিক সম্পর্ককে অধিকতর বেগবান করবে বলে আমি মনে করি। এছাড়া এর ফলে ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যসমূহের জ্বালানি চাহিদা পূরণ অনেকাংশে সহজ হবে বলে আমি আশা করছি।'এর আগে দুই প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে দু'দেশের সাতটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হয় এবং বৈঠক শেষে দুই প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে চুক্তি ও সমঝোতাপত্র বিনিময় হয়। এছাড়া দুই প্রধানমন্ত্রী যৌথভাবে দ্বিপাক্ষিক তিনটি প্রকল্পও উদ্বোধন করেন।
প্রধানমন্ত্রী, শেখ হাসিনা, হাসিনা-মোদি বৈঠক, প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর
ডিএনসিসি ও বন্ধন ২০ এর উদ্যোগে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের উদ্বোধন
প্রকাশ: ০৫ অক্টোবর ২০১৯ | ০৩:৩৬
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিস) ও বন্ধন ২০ এর যৌথ উদ্যোগে গত ২৮ সেপ্টেম্বর রাজধানীর গুলশান নিকেতন সংলগ্ন ড.ফজলে রাব্বী পার্কে দিনব্যাপী পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে। এ সময় বন্ধন ২০ এর উদ্যোগে ডিএনসিসির উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে পার্ক পরিষ্কারের পুরো কার্যক্রম প্রক্রিয়া উপস্থাপন করা হয়। বন্ধন ২০ এর পক্ষ থেকে সাধারণ সম্পাদক ড. শাহাদাত হোসেন পরিকল্পনা উপস্থাপন করেন।বৈঠক চলাকালে ডিএনসিসির সিইও মো. আব্দুল হাই সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষকে ডেকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন।উল্লেখ্য, প্রাতঃভ্রমণকারীদের সংগঠন বন্ধন ২০ দীর্ঘদিন যাবত গুলশান-১ এ ড. ফজলে রাব্বী পার্ক সংলগ্ন এলাকার পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে এলাকাবাসীর বিশেষ নজরে আসে।বন্ধন ২০ এর সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সামসুজ্জামান বলেন, ২০ এর উদ্যোগে সহায়তার জন্য আমরা ডিএনসিসির মেয়র ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। প্রায় ৭০ জন পরিচ্ছন্নকর্মী ও ৫০ জন বন্ধন ২০ এর সদস্যের আন্তরিক প্রচেষ্টায় ড. ফজলে রাব্বী পার্ক এখন অনেকটাই পরিচ্ছন্ন।সাধারণ সম্পাদক ড. শাহাদাত হোসেন বলেন, আমরা পার্ক পরিচ্ছন্ন কার্যক্রমের পাশাপাশি পার্ক সংলগ্ন এলাকার অবৈধ কার্যক্রম, বিশেষ করে হকার উচ্ছেদ, সন্ধ্যার পর নির্বিঘ্নে চলার পরিবেশ তৈরি এবং পার্কের নিয়মিত পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের দায়িত্ব সঠিক ভাবে পালনের নির্দেশ দেয়ার জন্য ডিএনসিসির সিইওর দৃষ্টি আকর্ষন করি। পরে উনার সম্মতিতে এসব বিষয়ে ব্যাপক উন্নতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে।এ সময় বন্ধন ২০ এলাকার উন্নয়নে প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে বলে এই আশা ব্যাক্ত করেন কার্যনির্বাহী সমিতির সদস্য শওকত আলী, লিটন, জহিরুল ইসলাম, শামসুল হকসহ অন্যান্য সদস্য।
ডিএনসিসি, বন্ধন ২০
যেখানে হিন্দুদের জন্য পূজার আয়োজন করে মুসলমানরা
প্রকাশ: ০৫ অক্টোবর ২০১৯ | ০৩:৪২ | আপডেট: ০৫ অক্টোবর ২০১৯ | ০৪:২৫
শুরু হয়েছে হিন্দু ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা। অন্যান্য দেশের মতো গোটা ভারতেও চলছে এ পূজা উদযাপন। এটি হিন্দু ধর্মালম্বীদের ধর্মীয় উৎসব হলেও কলকাতার খুব কাছেই এমন একটি স্থান আছে যেখানে উৎসবের মূল উদ্যোক্তা মুসলমানরা।ধর্মীয় মিলনমেলার এ স্থানের নাম মুন্সিগঞ্জ। কলকাতা শহরের কাছাকাছি এ এলাকায় মুসলিম সম্প্রদায়ের সংখ্যাই বেশি। তারপরও গত ৬০ বছর ধরে মুসলমানরাই এ এলাকায় দুর্গাপূজার আযোজন করছে। এ এলাকার মানুষের কাছে ঈদের মতোই উৎসবের সময় দুর্গাপূজা বা কালীপূজা।এ এলাকার বাসিন্দা সালমান সর্দার বলেন, 'দুর্গাপূজায় খুব মজা হয়। ঠাকুর দেখতে যাই। ফুচকা আর আইসক্রিমের দোকানে বসে খাই, দোলনায় চড়ি। আবার আমাদের পূজায় চলে আসি।'সালমানের মতো এ এলাকার বাসিন্দারা ছেলেবেলা থেকে পূজার উৎসবকে 'আমাদের পূজা’ মনে করেন। তিনি জানান, ঠাকুর আনা-নেওয়া, প্যান্ডেলে ঠাকুর তোলা, দেখাশোনা– সবই হিন্দুদের সঙ্গে মিলেমিশে করেন মুসলমানরা।সালমান বলেন, '৬০ বছর ধরে এভাবেই এখানে পূজা হয়ে আসছে।' তিনি আরও বলেন, 'আমাদের মামা, দাদাদের দেখেছি সকলের সঙ্গে মিলে দুর্গাপূজা-কালীপূজা-ঈদ-মহররম পালন করতে, আমরাও সেভাবেই করি।'ওই এলাকার পূজা কমিটির প্রধান প্রেমনাথ সাহা বলেন, , ' ছোটবেলায় আমরা করেছি। যারা এখন বড় হয়েছে, তারাও পূজার কাজে এগিয়ে আসে। চাঁদা তোলা, ঠাকুর নিয়ে আসা, ভাসিয়ে দেওয়া– সবকিছুতেই সবাই থাকি।'তিনি জানান, কয়েকদিন আগে মহররমের সময় তারা বাজার করেছেন, খাবার বিলি করেছেন, সবাইকে পানি দিয়েছেন। ধর্মীয় উৎসব পালনে কখনও কোনও সমস্যা হয় না তাদের এলাকায়। পূজার আরেক উদ্যোক্তা জানান, মানুষের মধ্যে এতটাই একতা আছে যে '৯২- এ বাবরি মসজিদ ভাঙার পরও ওই এলাকায় কোনো আঁচ পড়েনি।জানা গেছে, মন্ত্র বা শাস্ত্র হিন্দুরা পড়লেও পূজার ব্যবস্থাপনায় পাড়ার মুসলমান ছেলেরাই সামনের সারিতে থাকে। পূজায় চাঁদা সংগ্রহের কাজও করে তারা।মুহম্মদ নাজিম নামের এক ব্যক্তি বলেন, 'আমাদের এখানে জাতপাত-হিন্দু-মুসলিম ব্যাপারটাই নেই। একটা হিন্দু বাড়ির শিশু আর মুসলিম বাড়ির শিশু ছোট থেকেই একসঙ্গে বড় হয়– তারা এ ভাগাভাগিটা ছোট থেকেই দেখে শেখে।' সূত্র : বিবিসি
আন্তর্জাতিক, এশিয়া
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ৭ চুক্তি-সমঝোতা সই
প্রকাশ: ০৫ অক্টোবর ২০১৯ | ০৩:৪৭ | আপডেট: ০৫ অক্টোবর ২০১৯ | ০৪:১৪
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে শনিবার দু’দেশের মধ্যে ৭টি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। এছাড়াও উদ্বোধন করা হয়েছে তিনটি যৌথ প্রকল্প।নয়াদিল্লির হায়দ্রাবাদ হাউসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে শেষে দু’দেশের মধ্যে এসব সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করা হয়। দু’দেশের সরকার প্রধানের উপস্থিতিতে চুক্তি সই ও চুক্তিপত্র বিনিময় হয়। খবর ইউএনবিরএছাড়া শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদি যৌথভাবে তিনটি দ্বিপক্ষীয় উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। দ্বিপাক্ষিক বৈঠক শেষে হায়দ্রাবাদ হাউসে মধ্যাহ্নভোজনের আয়োজন করা হয়। এর আগে দু’দেশের নেতাদের মধ্যে একটি ব্যক্তিগত বৈঠক হয়।এদিকে শনিবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করে প্রতিবেশী বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে ‘সর্বোচ্চ গুরুত্ব’ দেওয়ার বিষয়টি পুর্নব্যক্ত করেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ‘প্রাণবন্ত কথোপকথন’ হয়েছে।এসময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রতিমন্ত্রী এম শাহরিয়ার আলম, ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাই কমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাই কমিশনার রিভা দাশ গাঙ্গুলী উপস্থিত ছিলেন।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিকেল সাড়ে ৪টায় ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনে রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দের সঙ্গেও বৈঠক করবেন।ওয়ার্ল্ড ইকোনোমি ফোরামে (ডব্লিউইএফ) যোগ দিতে বৃহস্পতিবার সকালে নয়াদিল্লি পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।নয়াদিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ককে ‘সর্বোচ্চ গুরুত্ব’ দেওয়া হচ্ছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনার দিল্লী পৌঁছানোর ছবিসহ একটি টুইট বার্তা প্রকাশ করে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও জানায়, কৌশলগত সম্পর্কের বাইরে গিয়ে বাংলাদেশ-ভারত (বহুমুখী সম্পর্ক) বিনিময় করছে।বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে আলোচনা করতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে নয়াদিল্লির হায়দ্রাবাদ হাউসে শনিবার সকালে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বাংলাদেশ, ভারত, শেখ হাসিনা, নরেন্দ্র মোদি
মিডিয়া কাপ ফুটবলে রানার্স আপ সমকাল
প্রকাশ: ০৫ অক্টোবর ২০১৯ | ০৩:৫৬
কুল-বিএসজেএ (বাংলাদেশ স্পোর্টস জার্নালিস্টস অ্যাসোসিয়েশন) মিডিয়া কাপ ফুটবলে রানার্স আপ হয়েছে সমকাল। শনিবার বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) মাঠে সেমিফাইনালে টাইব্রেকারে হারে সমকাল। দুই অর্ধে নির্ধারিত ৩০ মিনিটের খেলায় ঢাকা ট্রিবিউনের সঙ্গে গোল শূন্য সমতা করে সমকাল। টাইব্রেকারে হারে ৫-৪ ব্যবধানে।এর আগে শনিবার সকালে সমকাল ও চ্যানেল আই এবং ডেইলি স্টার ও ঢাকা ট্রিবিউনের মধ্যে সেমিফাইনাল অনুষ্ঠিত হয়। চ্যানেল আইকে হারিয়ে সমকাল ফাইনালে উঠে। অন্য ম্যাচে ঢাকা ট্রিবিউনের কাছে হেরে ডেইলি স্টার সেমিফাইনালে ছিটকে যায়। ফাইনালে দু'দল দারুণ ফুটবল উপহার দেয়। সমকাল গোল হওয়ার মতো বেশ কিছু আক্রমণ করে। কিন্তু বল জালে পাঠাতে পারেনি। এরপর টাইব্রেকারে পাঁচটি শটই জালে পাঠায় ঢাকা ট্রিবিউন। সমকাল একটি শট মিস করে শিরোপা হারায়।মিডিয়া কাপ ফুটবলের চতুর্থ দিন (শুক্রবার) বৈশাখী টেলিভিশনকে হারিয়ে সেমিফাইনালে ওঠে সমকাল। টানটান উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে নির্ধারিত সময়ের খেলা ২-২ গোলে ড্র থাকায় টাইব্রেকারে গড়ায়। ওই ম্যাচে সমকাল গোলরক্ষক আফজাল দুর্দান্ত দুটি সেভ করে দলকে জিতিয়ে দেন। সেমিফাইনালেও চ্যানেল আইয়ের বিপক্ষে টাইব্রেকারে গড়ায় ম্যাচ। ওই ম্যাচেও সমকাল গোলরক্ষক ভালো করেন। চ্যানেল আই মিস করে দুটি শট। অন্যদিকে চারটি শট জালে জড়িয়ে ফাইনালে উঠে যায় সমকাল।
খেলা, ফুটবল, মিডিয়া কাপ ফুটবল
বাপ্পি-মাহির বয়স ৭!
প্রকাশ: ০৫ অক্টোবর ২০১৯ | ০৪:২১ | আপডেট: ০৫ অক্টোবর ২০১৯ | ০৪:২২
নায়ক-নায়িকা হিসেবে সাত বছর পূর্ণ করলেন চিত্রনায়ক বাপ্পি চৌধুরী ও নায়িকা মাহিয়া মাহি। সাত বছর আগে ২০১২ সালের এই দিনে বাপ্পি-মাহি জুটি হয়ে বড় পর্দায় অভিষেক হন। প্রযোজনা সংস্থা জাজ মাল্টিমিডিয়ার হাত ধরে ‘ভালোবাসার ‘রঙ’ ছবি দিয়ে যাত্রা শুরু হয় তাদের। জাজেরও প্রথম ছবি এটি। সে হিসেবে আজ জাজেরও জন্মদিন।  সে বছর ‘ভালোবাসার রঙ’ ছবিটি মুক্তি পায় ৫ অক্টোবর। ছবিটির নির্মাতা ছিলেন শাহিন সুমন। এই ছবির মাধ্যমেই ঢাকাই ছবি নতুন মাত্রা পায়। ডিজিটাল সিনেমার নতুন যাত্রা শুরু হয়। ছবিটিও দর্শক নন্দিত হয়। এরপর দীর্ঘদিন একসঙ্গে জুটি হয়ে একাধিক ব্যবসা সফল ছবি উপহার দিয়েছেন বাপ্পি-মাহি।  পথচলার সাত বছর পূর্ণ করে পুরনো দিনগুলোর কথা ভেবে স্মৃতিকাতর নায়ক-নায়িকা দু’জনেই। বিশেষ এ দিনে বাপ্পি চৌধুরী ধন্যবাদ জানিয়েছেন দর্শকদের, কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন জাজসহ সেইসব মানুষদের যারা তার ক্যারিয়ারে রঙ মেখেছেন সাফল্যের আল্পনায়।বাপ্পী বলেন, ‘আমি ছিলাম অতি সাধারণ একটা ছেলে। সে সাধারণ ছেলেটাকে আজ সারা দেশের মানুষ চিনে, তারা আমার ছবি দেখে। রাস্তায় দেখলে বলে, ওই যে ওটা বাপ্পি না? অনেকেই ‘ভাইয়া, একটা সেলফি তুলি’ বলে জড়িয়ে ধরে।চিত্রনায়ক বাপ্পির জন্ম হতো না যদি ২০১২ সালের আজকের দিনে ‘ভালোবাসার রঙ’ মুক্তি না পেতো। তাই আমি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি আমার জন্মদাতা প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়া ও আবদুল আজিজ ভাই ও পরিচালক শাহীন সুমন ভাইয়ের প্রতি। তারা আমার রূপালি পর্দার স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিয়েছেন। তাদের কাছে আমি আজীবনের জন্য ঋণী। কৃতজ্ঞতা আবদুল্লাহ জহির বাবু ভাইয়ের কাছেও। উনি আমার জন্য যা করেছেন তা ভোলার নয়। কৃতজ্ঞ আমার বন্ধু মাহির প্রতি। আমরা একসাথে অনেকগুলো ছবি করেছি।আজকের দিনে আরও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি আমার সকল দর্শক, ভক্তদের। তাদের ভালোবাসায় এ পথচলা সহজ হয়েছে।কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি আমার সকল সাংবাদিক বন্ধুদের। তাদের প্রশংসা ও সমালোচনা দুটোই আমাকে সঠিক পথে চলতে সাহায্য করেছে। গত সাত বছর চলার পথে যদি কারো মনে কষ্ট দিয়ে থাকি, তাহলে ক্ষমা চাইছি। আপনাদের ভালোবাসা নিয়ে এদেশের সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিকে ভালো কিছু ছবি উপহার দিতে চাই। আমার জন্য সবাই দোয়া করবেন।’সাত বছরের ক্যারিয়ার পার করা মাহিও বেশ আপ্লোত। তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেলো তার অনুভূতির কথা।  মাহি বলেন, মনে হচ্ছে সেদিন এলাম চলচ্চিত্রে। চোখের পলকেই যেনো সাতটি বছর কেটে গেলো। আমি আর বাপ্পি দারুন এক জুটি হয়ে এসেছিলাম। অতীতের অনেক স্মৃতিই মনে পড়ছে। সবার প্রতি ভালোবাসা। যাদের জন্য আজকের মাহি হতে পেরেছি তাদের সবার প্রতিই কৃতজ্ঞ। 
বাপ্পি চৌধুরী, মাহি, জাজ, সাত বছর, ভালোবাসার রঙ
রেস্তোরাঁয় নেই ডিম ভাজা
প্রকাশ: ০৫ অক্টোবর ২০১৯ | ০৫:০৮
রুটির সঙ্গে ডিম ভাজা, সবজি- এই তো শহুরে মধ্যবিত্ত বাঙালির সকালের নাশতা। কাজের খাতিরে কিংবা ব্যাচেলর জীবনের কারণে যারা সকালের নাশতা ঘরের বাইরে করেন, তাদের জন্য দুঃসংবাদ। ডিম, পেঁয়াজ আর কাঁচামরিচের দাম বাড়তির দিকে বলে ঢাকার পাড়া-মহাল্লার খাবার দোকানে পাওয়া যাচ্ছে না ওমলেট বা ডিম ভাজা।রাজধানীর জিগাতলার ট্যানারি মোড়ে পাশাপাশি দুটি খাবার দোকান 'বিসমিল্লাহ রেস্টুরেন্ট' এবং 'তৃপ্তি বিরিয়ানি'। শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে দুই দোকানেই ঢু মেরে জানা গেল, সকালের নাশতার মেন্যুতে নেই ডিম ভাজা। কারণ আর কিছু নয়, ডিম, পেঁয়াজ আর কাঁচামরিচের দাম বেশি।বিসমিল্লাহ রেস্টুরেন্টের ম্যানেজার আবুল হাশেম জানালেন, এক ডজন ডিমের দাম ১১০ টাকা। ডিমের শ' ৯০০ টাকা। প্রতিটি ডিমের দাম পড়ে ৯ টাকা। পেঁয়াজের কেজি ৮০ থেকে ৮৫ টাকা। তিন দিন আগেও ছিল ১০০ টাকা। কাঁচামরিচের কেজি ৬০ থেকে ৭০ টাকা। এত দাম দিয়ে নানা উপকরণ কিনে ১৫ টাকায় ডিম ভাজা বিক্রি করলে লোকসান হয়। আবার দাম বেশি রাখলে কাস্টমারের সঙ্গে ঝগড়াঝাঁটি করতে হয়। এ কারণে ডিম পোচ করলেও ডিম ভাজা বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছেন।আবুল হাশেমের দাবি, একটি ডিম ভাজায় উপকরণেই খরচ পড়ে ১২ থেকে ১৩ টাকা। তার ওপর রয়েছে তেল ও গ্যাসের খরচ। রয়েছে কর্মচারী ও দোকান খরচ। এসব মিটিয়ে বিক্রি করতে গেলে প্রতিটি ডিম ভাজার দাম পড়বে ২০ টাকার বেশি। কিন্তু ২০ টাকায় ট্যানারি মোড়ের মতো এলাকায় ডিম ভাজা বিক্রি করলে কাস্টমারের গালি খেতে হবে। তাই ঝামেলা এড়াতে বিক্রিই বন্ধ রেখেছেন।ট্যানারি মোড়ের আমানউল্লাহ স্টোরের দোকানি আমানউল্লাহ জানালেন, ডিমের শ' ৯০০ টাকা। তারা প্রতি ডজন পাইকারি বিক্রি করেন ১১০ টাকা। কয়েক মাস আগেও ১০০ ডিমের দাম ছিল ৬০০ টাকা। বিক্রি করতেন ৭০ থেকে ৭৫ টাকা ডজন দরে। দাম তারা বাড়াননি, বেড়েছে কারওয়ান বাজার আড়তে। আড়ত থেকে বেশি দামে কিনছেন, তাই বিক্রি করতে হচ্ছে বেশি দামে।সপ্তাহ খানেক ধরে পেঁয়াজের দাম দেশজুড়ে আলোচনার বিষয়। কারওয়ান বাজার ঘুরে জানা গেল, গত তিন দিনে দাম কমেছে। দেশি পেঁয়াজের পাল্লা (পাঁচ কেজি) এখন ৪০০ টাকার কম। দিন চারেক আগে প্রতি পাল্লার দাম উঠেছিল ৫২০ টাকা। তখন খুচরা বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হতো ১২০ টাকা কেজি।বর্ষার পরও কাঁচামরিচের দাম কেন ৬০ টাকা কেজি- এর জবাব পাওয়া গেল না কারওয়ান বাজারে। সপ্তাহ দুই আগেও কাঁচামরিচের দাম ছিল ৩০ টাকার ঘরে। সিটি করপোরেশন মার্কেটের আড়তদার নুরুল ইসলামের দাবি, অকাল বন্যার কারণে দাম বাড়তি। আরেক বিক্রেতা নাজির হোসেনের দাবি, বছরের এই সময়টাতে মরিচের উৎপাদন কম থাকে। তাই দাম বেশি।সেগুনবাগিচার ভোজন রেস্তোরাঁয় গতকাল ডিম ভাজা বিক্রি হয় ২৫ টাকায়। দোকানের ক্যাশিয়ার বললেন, কিচ্ছু করার নেই। যেমন জোগান, তেমন বিক্রি। ক্ষতি কাস্টমারের।
ডিম, রেস্তোরাঁ, নাশতা
কার প্রেমে বুঁদ ভিকি?
প্রকাশ: ০৫ অক্টোবর ২০১৯ | ০৫:১২ | আপডেট: ০৫ অক্টোবর ২০১৯ | ০৫:৫৬
'মাসান' দিয়ে বলিউডে অভিষেক ঘটে ভিকি কৌশলের। এরপর একের পর এক প্রশংসনীয় ছবি দর্শকদের উপহার দিয়ে আসছেন তিনি। অনেক পরিচালকের মতে ভিকি এখন বলিপাড়ার দ্য নেক্সট বিগ থিং। ভিকি কৌশল নাকি বলিউডের আরেক আবেদনময়ী অভিনেত্রী ক্যাটরিনা কাইফের সঙ্গে ডেট করছেন পিঙ্কভিলার এক প্রতিবেদনে এমন তথ্যই উঠে এসেছে।প্রথম সাক্ষাৎ থেকেই নাকি দু’জনের মধ্যে ঘনীভূত হতে থাকে সম্পর্ক। জানা গেছে, ভিকি-ক্যাটরিনার সম্পর্কের শুরুটা হয় এক বন্ধুর বাড়িতে। যদিও তাদের সম্পর্কের কথা উড়িয়ে দিয়ে বন্ধুরা বলেছেন, ভিকি ও ক্যাট শুধুই ভালো বন্ধু। এর বেশি কিছু নয়। কিন্তু দুজনের ঘনিষ্ঠতা  অন্য কিছুর ইঙ্গিত দিচ্ছে। মাঝে তো এও শোনা যায়, কোনও এক ছবির জন্যই নাকি ঘনঘন সাক্ষাৎ করছেন তারা। কিন্তু যা খবর, তাতে সামনে দু’জনের একসঙ্গে কোনও ছবি নেই। তা সত্ত্বেও তারা একসঙ্গে সময় কাটানোর ফলে জল্পনা আরও বাড়ছে। তবে এ বিষয়ে দু'জনের কোনো মন্তব্য শোনা যায়নি। এর আগে ছোট পর্দার অভিনেত্রী হরলিন শেট্টির সঙ্গে ভিকি কৌশলের প্রেমের সম্পর্কের কথা শোনা যায়। 
ভিকি কৌশল, ক্যাটরিনা কাইফ, বিনোদন
উৎসবের সর্বজনীনতা
প্রকাশ: ০৫ অক্টোবর ২০১৯ | ০৫:৩৬
ষড়ঋতুর আমাদের ভূখণ্ডে শরৎ ঋতুকে শান্ত-স্নিগ্ধতার ঋতু হিসেবে বিবেচনা করা হয়। স্নিগ্ধ-শান্ত এই ঋতুতে নেই প্রকৃতির নিষ্ঠুরতার দাবদাহ, বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস, বর্ষা, বর্ষণ, তীব্র শীত ইত্যাদি। নাতিশীতোষ্ণ ঋতু হিসেবে এই ঋতু সমধিক পরিচিত। নীল আকাশে সাদা মেঘের ভেলা ভেসে ভেসে যায়। কাশবনে কাশফুলের সমারোহ এই ঋতুতেই ঘটে। শরৎকালেই বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় পার্বণ শারদীয় উৎসব। উৎসব আমেজ ভর করে সর্বত্র। আমাদের সাহিত্যে পূজার ছুটিতে ঘরমুখী মানুষের নানা বর্ণনা রয়েছে। তেমনি রয়েছে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাঙ্গনের দীর্ঘ ছুটির কথাও। জীবিকার প্রয়োজনে যত্রতত্র থাকলেও পূজার ছুটিতে প্রত্যেকে স্ব স্ব পরিবারের কাছে ছুটে আসার যে চিরায়ত সংস্কৃতি ছিল সেটা এখনও আছে। তবে কমেছে। তারপরও বাঙালি মানসে শরৎ আসে উৎসবের বারতা নিয়ে।কয়েক বছর আগে দুর্গাপূজায় ঢাকেশ্বরী মন্দিরের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় মন্দিরের মূল ফটকের পাশে টাঙানো বিশাল কাপড়ের ব্যানারে লেখা ‘ধর্ম যার যার, উৎসব সবার’ ব্যানারের লেখাটি পড়ে অভিভূত হয়েছিলাম। ভালো লেগেছিল কথাগুলো। চলার পথে লেখাটি আমাকে বেশ আপ্লুত করেছিল। প্রতিটি সম্প্রদায়ের ধর্মীয় উৎসব রয়েছে। ধর্মীয় উৎসবসমূহে ধর্মীয় আচার-আনুষ্ঠানিকতার চেয়ে উৎসবের অংশটি অধিক এবং বৃহৎ পরিসরে পালিত হয়ে থাকে। উৎসবকে যদি অসাম্প্রদায়িক রূপ দেয়া যায়, সর্বজনীন করা যায়। তাহলে উৎসবকেন্দ্রিক সম্প্রীতির সহাবস্থানের ক্ষেত্রটি উন্মুক্ত হয়, সম্প্রসারিত হয়। আমাদের ভূখণ্ডে হিন্দু-মুসলিমদের নিজ নিজ উৎসবসমূহে একে অপরকে নিমন্ত্রণ করার রেওয়াজ ছিল। ঈদে-পার্বণে হিন্দু বন্ধু-প্রতিবেশীদের নিমন্ত্রণ করা এবং পূজায় মুসলিম সম্প্রদায়ের বন্ধু-প্রতিবেশীদের আমন্ত্রণের রীতি-রেওয়াজ ছিল। কুটিল রাজনীতির কূটচালে ধর্মীয় সাম্প্রদায়িকতার অনুপ্রবেশে দুই সম্প্রদায়ের সম্পর্কেরও অবনতি ঘটে। বিশেষ করে ঘৃণিত দেশভাগের মর্মান্তিক ঘটনা প্রবাহের মুখে। দেশভাগের সাম্প্রদায়িকতার জের আজও দুই সম্প্রদায়ের হৃদয়ে ভর করে রয়েছে। ব্রিটিশরা বিদায় নিলেও, ব্রিটিশের শঠতার কূটচাল-কারসাজির পরিসমাপ্তি ঘটেনি। দুঃখজনক হলেও সত্য সাম্প্রদায়িক বিভাজন ভ্রাতৃপ্রতিম দুই সম্প্রদায়কে একে-অপরের শত্রুতে পরিণত করার হীন রাজনীতি সমাজ ও রাষ্ট্রে এখনও বিরাজিত। রাষ্ট্র ও শাসকগোষ্ঠীর আনুকূল্যে সাম্প্রদায়িক রাজনীতির বাড়-বাড়ন্ত অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে বারবার ক্ষুণ্ন করে চলেছে। অথচ আমাদের দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ সাধারণ মানুষ অনিবার্যরূপে অসাম্প্রদায়িক।আমাদের কৈশোরে দেখেছি পুরান ঢাকার বিভিন্ন হিন্দু সম্প্রদায়ের অধ্যুষিত এলাকায় বারোয়ারি পূজা হতে। জমিদার প্রথা উচ্ছেদের পর জমিদারদের বা বিত্তশালীদের ব্যক্তিগত উদ্যোগে ও আর্থিক বিনিয়োগে পূজার আয়োজন আর থাকেনি। দেশভাগে বিত্তবান হিন্দুরা ভারতে চলে যাওয়ার কারণেই ব্যক্তিগত পূজার আয়োজনের পরিসমাপ্তি ঘটেছিল। হালে নতুন ঢাকার বনেদী এলাকায় অধিক অর্থ ব্যয়ে পূজার আয়োজন দেখা যায়। ঢাকেশ্বরী, তাঁতীবাজার, রামকৃষ্ণ মিশনসহ পুরান ঢাকাভিত্তিক পূজার আয়োজন-আনুষ্ঠানিকতাকে অতিক্রম করেছে গুলশান, বনানী, বারিধারা, উত্তরা, ধানমণ্ডিসহ আশপাশের এলাকার পূজাণ্ডপগুলো। এখনও চাঁদা তুলে বারোয়ারী পূজার আধিক্য রয়েছে এবং থাকবেও। তবে নতুন ঢাকার বিত্তবানদের অর্থানুকূল্যের পূজাণ্ডপের সাজসজ্জা, খাবার-দাবার, খ্যাতিবান গায়ক-গায়িকাদের উপস্থিতিতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের তোপে পুরান ঢাকার পূজা এখন ক্রমেই ম্রিয়মান হয়ে পড়েছে। এসবই বিদ্যমান বৈষম্যপূর্ণ ব্যবস্থারই অবিচ্ছেদ্য অংশ। শ্রেণি বৈষম্যপূর্ণ সমাজে উৎসবও ওই বৈষম্যের বৃত্ত অতিক্রম করতে পারছে না। অথচ উৎসব হচ্ছে সর্বজনীন। একথা বহুল প্রচলিত হলেও একটি শ্রেণি অসমতার রাষ্ট্র ও সমাজে তার প্রভাব থাকবে না, সেটা তো অসম্ভব।জাতি সমস্যার সমাধান একাত্তরের যুদ্ধে সম্পন্ন হলেও, শ্রেণি সমস্যার সমাধান কিন্তু হয়নি। যদিও ওই মুক্তিযুদ্ধের মর্মবাণী ছিল গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র এবং ধর্মনিরপেক্ষতা। আমদের জাতীয়তাবাদী শাসকেরা তাদের শ্রেণি স্বার্থে মুক্তিযুদ্ধের ওই মৌলিক চেতনার বাস্তবায়ন করেনি।একই হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় উৎসব জাতিভেদে ভিন্নতর।বাঙালি হিন্দুদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা। মাড়োয়ারিসহ অপরাপর কয়েকটি জাতিসত্তার হিন্দুদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব কালীপূজা। মারাঠা রাজ্যের মারাঠিদের গণেশ পূজা। জাতিভেদে উৎসব-পার্বণের পার্থক্য ভারতবর্ষ জুড়ে রয়েছে। মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর। খ্রিস্টীয়দের বড় দিন এবং বৌদ্ধদের বুদ্ধ-পূর্ণিমা। মুসলিম সম্প্রদায় নিজ ভূখণ্ডে চাঁদ দেখার ওপর ভিত্তি করে ধর্মীয় আচার-আনুষ্ঠানিকতার দিন-ক্ষণ নির্ধারণ করে থাকে। অথচ আমাদের দেশে সংখ্যায় নগণ্য হলেও বেশ কিছু অঞ্চলে সৌদি-আরবের অন্ধ-অনুকরণে সুদূর সৌদি-আরবের চাঁদ দেখার ওপর ভিত্তি করে রোজা-ঈদ পালন করে থাকে কতিপয় মানুষ। ধর্মীয় বিধানে নিজ নিজ ভূখণ্ডে চাঁদ দেখার ওপর ভিত্তি করে ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানের দিন-ক্ষণ নির্ধারণের বিষয়টি উপেক্ষা করে সৌদি-আরবের অন্ধ-অনুকরণে। রোজা-ঈদ ইত্যাদি পালন ধর্মীয় নির্দেশ বর্জিত যেমন তেমনি সামাজিক বিচ্ছিন্নতাও। সেটা সমাজ, দেশ, জাতি, এমনকি নিজ সম্প্রদায়ের সঙ্গেই চরম বিচ্ছিন্নতা। এটি তো সমর্থনযোগ্য হতে পারে না।বেশ ক'বছর আগে ভারতের গুজরাট রাজ্যে ভ্রমণে গিয়েছিলাম। গুজরাটের মুসলিম দাবিদার ‘দাউদি বড়া’ সম্প্রদায়ের সাক্ষাৎ পেয়েছিলাম। তাদের কাছে জেনেছিলাম তাদের ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানের কথা এবং অবাক ও বিস্মিত হয়েছিলাম সেসব শুনে। মুসলিম দাউদি বড়া সম্প্রদায় চাঁদ দেখার ওপর ভিত্তি করে কোনো ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পালন করে না। তাদের নির্দিষ্ট ক্যালেন্ডার রয়েছে। ওই ক্যালেন্ডারের তারিখ অনুযায়ী তারা সমস্ত ধর্মীয় উৎসব-আনুষ্ঠানিকতা পালন করে থাকে। এমনকি তারা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের স্থলে তিন ওয়াক্ত ফরজ নামাজ আদায় করে। তাদের মসজিদের আজান শোনারও সৌভাগ্য হয়েছিল। 'আসসাদুআল্লাহ মুহাম্মাদুর রসূল উল্লাহ'র পরপরই আজানে বলা হয় ‘আসসাদুআল্লাহ মুহাম্মাদুর আলী উল্লাহ্’। তারা নিজেদের নির্ভেজাল মুসলিম হিসেবে দাবি করে। নামাজ, চাঁদ দেখা, আজান ইত্যাদি ক্ষেত্রে অমিলের প্রসঙ্গে জিজ্ঞেস করলে- উত্তরে বলেছিল, শিয়া, সুন্নি, কাদিয়ানী, আহম্মদিয়া, ওহাবি, দেওবন্দ, বারেলভি ব্যতীত চার মাযাবের চার মতবাদসহ মুসলিম ধর্মের অনুসারীদের অসংখ্য বিভক্তির কথা। সবাই সবারটিকেই শ্রেষ্ঠজ্ঞান করে। আমরা দাউদি বড়া সম্প্রদায় অন্যদের তুলনায় নিজেদেরকেই নির্ভেজাল মুসলিম রূপে গণ্য করি। এরপর আর কথা না বাড়িয়ে বিদায় নিয়েছিলাম।আমাদের দেশে ঈদের নামাজ আদায়ের আড়ম্বর আয়োজন-আনুষ্ঠানিকতা সর্বাধিক। অতিরিক্ত জনসংখ্যা এবং অধিক মানুষের ঈদের নামাজ আদায়ের কারণে একই মসজিদ-ঈদগাতে পর্যায়ক্রমে দুই-তিন দফায় ঈদের নামাজ সম্পন্ন হয়ে থাকে। দেশের সকল অঞ্চলসমূহের মসজিদ-ঈদগার প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় দফার নামাজের সময়সূচি টিভি মিডিয়াগুলো পর্যন্ত নিয়মিত সম্প্রচার করে থাকে। ঈদের নামাজকে কেন্দ্র করে প্রচার-প্রচারণা আড়ম্বর আয়োজন-মাতামাতি সর্বাধিক। ঈদে দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ ব্যতীত ঈদের দিন আর কোনো ধর্মীয় আচার-আনুষ্ঠানিকতা নেই। ১৯৮১ সালে বাগদাদে ঈদ উদযাপন করেছিলাম। ঈদের নামাজে অংশ নিতে ফজরের আজানের আগে বাগদাদ উপকণ্ঠে অবস্থিত বড়পীর আব্দুল কাদের জিলানী (রঃ) (ইরাকিরা জিলানী বলে না, বলে গিলানী) মাজার কমপ্লেক্সের মসজিদে যেতে হয়েছিল। মসজিদে স্থানীয়দের তুলনায় প্রবাসী বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তানের নাগরিকেরাই ছিল সর্বাধিক। ঈদের নামাজকে কেন্দ্র করে অতিরিক্ত আনুষ্ঠানিকতা ছিল না। ফজরের নামাজের পরপর ঈদুল ফিতরের দুই ওয়াক্ত ওয়াজেব নামাজ আদায় করেছিলাম। সালাম ফিরিয়েই নামাজ শেষ। মোনাজাত পর্যন্ত ছিল না। মোনাজাত প্রসঙ্গে অন্যদের জিজ্ঞেস করলে তারা বলেছিল- ঈদের নামাজে এখানে মোনাজাতের প্রচলন নেই। এমনকি ঈদের নামাজকে কেন্দ্র করে তেমন তোড়জোড়ও নেই। ফরজের অতিরিক্ত কোনো বিষয়কে সেখানে গুরুত্ব দেওয়া হয় না। নামাজ শেষে প্রবাসীরা পরস্পর কোলাকুলি-সৌজন্যতা বিনিময় করে দীর্ঘ সময় ধরে। বন্ধু-আত্মীয়দের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাতে প্রবাসীদের মোক্ষম সুযোগ ঈদের দিনে বড় পীরের মাজার কমপ্লেক্সের মসজিদটি। কেউ উত্তরে-কেউ দক্ষিণে, পূর্বে-পশ্চিমের দূর-দূরান্তে কর্মরত থাকলেও এদিনে পরস্পর পূর্ব যোগাযোগের ভিত্তিতে দেখা-সাক্ষাৎ করার সুযোগটি কেউ হাতছাড়া করত না।সকল ধর্মীয় উৎসব-পার্বণ ধর্মভিত্তিক হলেও-সামাজিক সম্প্রীতির পরিধি-ভিত্তিটাই প্রধান। ঈদে ধর্মীয় আবেদনের চেয়ে সামাজিক আবেদনটি অধিক বিস্তৃত। একে-অপরের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ, আত্মীয়-পরিজন, প্রতিবেশীদের বাড়িতে-বাড়িতে যাওয়া-আসা সমস্তই ঈদের সামাজিকতা। এই সামাজিকতাকে সম্প্রদায়ে সীমাবদ্ধ না করে সকল সম্প্রদায়ের মধ্যে ভ্রাতৃত্ববোধকে জাগিয়ে তুলতে এবং সম্প্রীতি স্থাপনের চমৎকার সুযোগ রয়েছে। অতীতে তো ছিলই। বর্তমানে যে নেই তা-ও নয়। তবে সকল সম্প্রদায়ের উৎসবগুলোকে অসাম্প্রদায়িক উৎসবে পরিণত করা কিন্তু অসম্ভব নয়।শুরুতে বলেছিলাম দুর্গাপূজায় টাঙানো ব্যানারের কথা। সেটা সকল সম্প্রদায় ধারণ করলে কেবল সাম্প্রদায়িকতা নির্মূল হবে না; সকল সম্প্রদায়ের মধ্যে ভ্রাতৃত্ববোধ-সম্প্রীতির শক্তিশালী সংহতি গড়ে উঠবে। সেটা কেবল গুরুত্বপূর্ণ এবং জরুরিও বটে। সকল ধর্মমতই অপরের ধর্মকে ঘৃণা-অবজ্ঞা করতে বলেনি। বলেছে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান এবং সম্প্রীতির কথাও।সকল উৎসব-পার্বণে দুটি বিষয় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এক, উৎসব-পার্বণকে অসাম্প্রদায়িক করে তোলা। দুই, সমাজের অর্থনৈতিক বৈষম্য দূর করা। এই দুটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের নিষ্পত্তি হলেই ধর্মীয় এবং জাতীয় সকল উৎসব-পার্বণ সর্বজনীন হবে এবং পরিপূর্ণরূপে সকলের জন্য উৎসবের আনন্দ নিশ্চিত করতে পারবে। নয়তো উৎসব আসবে-যাবে, কেউ কেউ ভোগবাদিতায় ভাসবে আর সংখ্যাগরিষ্ঠরা চেয়ে চেয়ে কেবল দেখবে। উপভোগ করতে পারবে না। সেক্ষেত্রে উৎসব-পার্বণের আবেদনও পূর্ণতা পাবে না।লেখক: নির্বাহী সম্পাদক, নতুন দিগন্ত
চতুরঙ্গ, মযহারুল ইসলাম বাবলা
শ্রীলংকায় মিরাজের ৭ উইকেট
প্রকাশ: ০৫ অক্টোবর ২০১৯ | ০৫:৩৯
ঘরের মাঠে ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট জয়ের অন্যতম কুশিলব ছিলেন মেহেদি হাসান মিরাজ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে হোম টেস্টেও ভালো করেন তিনি। কিন্তু আফগানিস্তানের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে মেহেদি মিরাজ চেনা ছন্দে ছিলেন না। মিরাজকে তাই বাংলাদেশ 'এ' দলের সঙ্গে শ্রীলংকায় পাঠানো হয়। উদ্দেশ্য ভারতের বিপক্ষে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ শুরুর আগে তাকে ফর্মে ফেরানো।এ দলের সফরে ভালো বোলিং করেছেন মিরাজ। দেখিয়েছেন তার ঘূর্ণি। শ্রীলংকা সফরে বাংলাদেশ 'এ' দলের প্রথম চার দিনের আন অফিশিয়াল ম্যাচে মেহেদী মিরাজ তুলে নেন ৫ উইকেট। ওই ম্যাচে তিনি ৪৬.১ ওভার হাত ঘোরান। সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ চার দিনের ম্যাচেও দারুণ বোলিং করেছেন 'এ' দলের এই অপ স্পিনার। এবার ৭ উইকেট তুলে নেন তিনি। তার জন্য মিরাজকে হাত ঘোরাতে হয় ৩৭ ওভার।দ্বিতীয় চার দিনের ম্যাচে হাম্বানতোতায় প্রথমে ব্যাট করে ৭৪ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ২২৩ রানে প্রথম দিন শেষ করে শ্রীলংকা 'এ' দল। প্রথম দিন ৩১ ওভার হাত ঘুরিয়ে ৩ উইকেট নেন মিরাজ। শনিবার সকালে ১৬.২ ওভারে গুটিয়ে যায় স্বাগতিকরা। দ্বিতীয় দিনে মিরাজ বল করেন ছয় ওভার। উইকেট নেন চারটি। এর মধ্যে দ্বিতীয় দিন নিজের করা পঞ্চম ওভারে তিন বলের ব্যবধানে দুই উইকেট নেন মিরাজ। পরের ওভারে এসে আবার তিন বলের ব্যবধানে শিকার করেন ২ উইকেট। দ্বিতীয় দিন সকালে মিরাজ ঘূর্ণির পর বাকি উইকেটটা নেন সালাউদ্দিন শাকিল।আগের দিন ৫ উইকেটে ২২৩ করা শ্রীলংকা 'এ' দল তাই গুটিয়ে যায় ২৬৮ রানে। বাংলাদেশ 'এ' দলের হয়ে ডান হাতি পেসার এবাদত নেন ২ উইকেট। নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নামা বাংলাদেশ 'এ' দল এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ২ উইকেটে ১৩৯ রানে ব্যাট করছে। জহুরুল ইসলাম ও নাজমুল হোসেন শান্ত শুরুতেই ফিরে যান। চট্টগ্রামের দুই বাঁ-হাতি টপ অর্ডার ব্যাটসমস্যান সাদমান ইসলাম ও অধিনায়ক মুমিনুল হক ফিফটি করে ব্যাটকরছেন।
খেলা, ক্রিকেট, বাংলাদেশ, মিরাজ
জুয়ার আসর থেকে ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি গ্রেফতার
প্রকাশ: ০৫ অক্টোবর ২০১৯ | ০৬:১৫ | আপডেট: ০৫ অক্টোবর ২০১৯ | ০৭:১২
বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলায় জুয়া খেলার সময় এক ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতিসহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুক্রবার রাতে উপজেলার ছাতনী এলাকা থেকে জুয়ার বিভিন্ন সরঞ্জামসহ তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন- আদমদীঘির তারাপুর গ্রামের আফসার প্রামানিকের ছেলে ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি শাহরিয়ার হোসেন সাজু (৩২), সান্দিড়া ব্যাপারী পাড়ার জহির উদ্দীনের ছেলে জহুরুল ইসলাম (৩৬) ও পশ্চিম ছাতনী গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে নয়ন (২৮)।আদমদীঘি থানা পুলিশের টিএসআই (টাউন সাব ইন্সপেক্টর) আবদুল ওয়াদুদ এতথ্য নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। পুলিশ জানায়, উপজেলার ছাতনী সুখানগাড়ী পুকুর পাড়ে একটি ঘরে বেশ কিছু দিন যাবত তাসের মাধ্যমে টাকার বিনিময়ে জুয়া খেলে আসছিল পেশাদারি জুয়ারিরা। গোপন সংবাদে ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালানো হয়।  ঘটনাস্থল থেকে জুয়া খেলার বিভিন্ন সরঞ্জাম ছাড়াও  নগদ টাকা উদ্ধার করা হয় বলে পুুলিশ জানিয়েছে।
আদমদীঘি, বগুড়া
বিএনপির এমপিরা ধরা খেয়েছেন: গয়েশ্বর
প্রকাশ: ০৫ অক্টোবর ২০১৯ | ০৬:৩১ | আপডেট: ০৫ অক্টোবর ২০১৯ | ০৬:৩৬
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার 'আপসহীন নেত্রী'র উপাধি খারিজ করতে গিয়েদলের সংসদ সদস্যরা ধরা খেয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বরচন্দ্র রায়।শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে জিয়া শিশু কিশোর মেলার উদ্যোগে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, সরকারের সঙ্গে খালেদা জিয়া কোনো আপস বা কোনোসমঝোতা করবেন না, প্যারোলে মুক্তি নেবেন না, কারো অনুকম্পা নেবেন না। খালেদাজিয়াকে অনুকম্পা করার যোগ্যতা কারো নেই। তিনি বলেন, যারা বিরোধী দলে কষ্টে আছি তারা আলোর সন্ধানখুঁজছি। হয়তো বা কিছু একটা হবে। এটা করতে গিয়ে, খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্যযে কিছু দায়িত্ববোধ আছে- সেই দায়িত্ববোধ ভুলে গেছি। আবার অতি দায়িত্ব পালনকরতে গিয়ে কিছু কিছু নেতা নেত্রীর সঙ্গে দেখা করেছেন। বিএনপির এই নেতা বলেন, এটা নিয়েঅনেকেই অনেক কথা বলেন। তারা (বিএনপির এমপিরা) যে নেত্রীর মুক্তির জন্য খুব বেশি আন্তরিক,সেটা জনগণকে আশ্বস্ত করতে গিয়ে খালেদা জিয়ার আপসহীন উপাধি খারিজ করতে গিয়েধরা খেয়েছেন।তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের বক্তব্যেই প্রমাণ হয়েছে- আদালতকতটুকু নিয়ন্ত্রিত। প্রতিদিন কত মামলার রায় হয়, খালেদা জিয়ার মামলার রায় হয়না, বিব্রত বোধ করেন। এরপরও গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ-দায়িত্ববোধ থেকেগণতন্ত্রের নেত্রীর মুক্তি আন্দোলন করব। যতটুকুই করছি আরো যতটুকু যৌক্তিককরা দরকার সেটা করব। সেই আন্দোলনের মধ্য দিয়ে খালেদা জিয়া মুক্তি লাভকরবেন।গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, রাষ্ট্রের বিভিন্ন জায়গা, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে যারা যে অবস্থানেআছেন তারা যদি ক্ষমতার অপব্যবহার করেন। যখন দেশে সুশাসন আসবে, আইনেরশাসন আসবে তখন তারাও বিচারের মুখোমুখি হবেন। একটা সময় তাদেরকেও এই পরিণতিভোগ করার জন্য প্রস্তত থাকতে হবে।শুদ্ধি অভিযানের নামে সরকারের 'বানর নাঁচানো'র খেলা খেলছে অভিযোগ করে তিনিবলেন, এ কাজের মাধ্যমে তারা মানুষকে আকৃষ্ট করে তাদের দৃষ্টিকে ভিন্নখাতেনেওয়ার চেষ্টা করছেন। ছোট-খাটো দুই-একটা টোকাই- গল্প-ইতিহাস-নাটকের মতোসৃষ্টি করে কিছু সময়ের জন্য চমক সৃষ্টি করা যায় কিন্তু প্রকৃত অর্থেদুর্নীতির হাত থেকে দেশকে রক্ষা করা যায় না, মুক্ত করা যায় না। গয়েশ্বর চন্দ্র রায় আরও বলেন, জনসমর্থনহীনসরকার অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে, ব্যাকিংখাতগুলোকে নিঃস্ব করে একটাদেউলিয়া দেশে পরিণত করছে। এই দেউলিয়াত্বের দৃষ্টি ভঙ্গিটাকে অন্যত্র সরানোরজন্য ছোট-খাটোর খুচরা নাটক হচ্ছে। কিন্তু ভবিষ্যতে দেখা যাবে কিছু না।গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, দেশে ৫ বছর আগে ১৯ হাজার কোটিপতি ছিলো। এখন ৭৬হাজার কোটিপতি হয়েছে। সেটা শুধুমাত্র ব্যাংকে গচ্ছিত টাকার হিসাব অনুযায়ীহয়েছে। আর কত কোটি টাকা যে বিদেশে গেছে তার যদি হিসাব হয় তাহলে কোটিপতিরসংখ্যা কত? এই কোটিপতিদের যদি তালিকা প্রকাশ করার হয় তাহলে দেখা যাবে; আওয়ামী লীগ করেনা এমন কোনো কোটিপতি হয় নাই। সাধারণ মানুষ নিঃস্ব হয়ে গেছে।সংগঠনের সভাপতি জাহাঙ্গীর শিকদারের সভাপতিত্বে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দমোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ছড়াকার আবু সালেহ প্রমুখ সভায় বক্তব্য দেন।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, বিএনপি
বিএনপির আবদার পূরণের সুযোগ নেই: তথ্যমন্ত্রী
প্রকাশ: ০৫ অক্টোবর ২০১৯ | ০৬:৪৩
খালেদা জিয়ার জামিনের বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের বিএনপির আবদার পূরণের সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, বিএনপির আবদার হচ্ছে রাষ্ট্র যেন দুর্নীতির সাথে আপোষ করে। এটি করা তো সম্ভব নয়। খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়টি একেবারেই আদালতের এখতিয়ার। খালেদার জামিনের বিরোধিতা না করে তাদের আবদার পূরণের কোনো সুযোগ নেই রাষ্ট্রপক্ষের।শনিবার শনিবার দুপুরে চট্টগ্রামে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। চট্টগ্রাম নগরীর ফিনলে স্কয়ারে সিনেপ্লেক্স 'সিলভার স্ক্রিন' আয়োজিত বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্প এবং বিশ্বায়নের চ্যালেঞ্জ' শিরোনামে এক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ শেষে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন তিনি।তথ্যমন্ত্রী বলেন, দুর্নীতির মামলায় কেউ জামিন চাইলে রাষ্ট্র্রপক্ষের কাজ হচ্ছে জামিনের বিরোধিতা করা। জামিনের যদি বিরোধিতা করা না হয় তাহলে সেখানে তো দুর্নীতির সাথে রাষ্ট্রের আপোষ করা হয়। রাষ্ট্রের দায়িত্ব হচ্ছে, দুর্নীতির দায়ে একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামি যখন জামিন চাইবেন, তখন তার বিরোধিতা করা। এটা রাষ্ট্র্রপক্ষের আইনজীবী বা দুদকের আইনজীবীর দায়িত্ব।কবি ও প্রাবন্ধিক আবুল মোমেনের সভাপতিত্বে ও কামরুল হাসান বাদলের সঞ্চালনায় সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন দৈনিক সুপ্রভাত বাংলাদেশ সম্পাদক রুশো মাহমুদ। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন নারী সাংসদ ওয়াসিকা আয়েশা খাঁন, দৈনিক আজাদীর সম্পাদক এম এ মালেক, দৈনিক পূর্বকোণের সম্পাদক ডা. ম রমিজ উদ্দিন, আরটিভি'র সিইও সৈয়দ আশিক রহমান, চলচ্চিত্র ও নির্মাতা অমিতাভ রেজা চৌধুরী, দৈনিক প্রথম আলো চট্টগ্রাম অফিসের বার্তা সম্পাদক কবি ওমর কায়সার প্রমুখ।
খালেদা জিয়া, বিএনপি
রোহিতের সেঞ্চুরিতে বড় লিড ভারতের
প্রকাশ: ০৫ অক্টোবর ২০১৯ | ০৬:৪৬
প্রথম ইনিংস দেখেই মনে হয়েছিল জয়ের পথ রচনা করে ফেলেছে ভারত। তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টে বিশাখাপত্তনমে প্রথম ইনিংসে প্রথমে ব্যাট করে ৭ উইকেটে ৫০২ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে ভারত। ঘরের মাঠে স্পিন সহায়ক উইকেট ভারত আবার ৬৩ রানে প্রোটিয়াদের ৪ উইকেট তুলে নেয়। এরপর ডেন এরগার এবং কুইন্টন ডি কক সেঞ্চুরি করে ম্যাচে ফেরেন। ক্যারিয়ারে প্রথমবার ওপেন করতে নামা রোহিত শর্মা দ্বিতীয় ইনিংসে আবার সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন। তার ব্যাটে ভর করে জয়ের স্বপ্ন দেখছে ভারত।ম্যাচ বাঁচাতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে শেষ দিন করতে হবে ৩৮৪ রান। হাতে আছে ৯ উইকেট। চতুর্থ দিনের শেষ বেলায় ব্যাট করতে নেমে সফরকারীরা ৯ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ১১ রান তুলেছে। দলের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান ডেন এলগার মাত্র ২ রানে জাদেজার বলে আউট হয়ে ফিরেছেন। পঞ্চম দিন শুরু করবেন এইডেন মার্করাম এবং তিউনিস ডি ব্রুইন।প্রথম ইনিংসে ভারত রোহিত শর্মার ১৭৬ রান এবং অন্য ওপেনার মায়াঙ্ক আগারওয়ালের ২১৫ রানে ভর করে বিশাল ওই লক্ষ্য পায়। তারা দু'জনে ভারতের হয়ে ওপেনিংয়ে তৃতীয় সর্বোচ্চ ৩১৭ রানের জুটি গড়েন। তবে পরের ব্যাটসম্যানরা ভালো রান পাননি। দলের হয়ে তৃতীয় সর্বোচ্চ ৩০ রান করেন রবীন্দ্র জাদেজা। হুড় মুড়িয়ে উইকেট পড়তে শুরু করলে ভারত প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে দেয়। কেশব মাহরেজ নেন তিন উইকেট।রান পাহাড়ে চাপা পড়া দক্ষিণ আফ্রিকা ৬৩ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর ঘুরে দাঁড়ায়। ইনিংস পরাজয় চোখ রাঙানো ম্যাচটা এখন তারা ড্র করার আশা দেখছে। তাতে বড় অবদান ডেন এলগারের। তিনি ১৬০ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন। সঙ্গে ফ্যাফ ডু প্লেসিস করেন ফিফটি। আর কুইন্টন ডি ককের ব্যাট থেকে ১১১ রানের ইনিংস আসে। তারপরও প্রোটিয়ারা ৪৩১ রানে অলআউট হয়। প্রথম ইনিংস থেকে ভারত পেয়ে যায় ৭১ রানের লিড।দ্বিতীয় ইনিংসে ভারত ৪ উইকেটে ৩২৩ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করেছে। দুই ইনিংস মিলিয়ে প্রোটিয়াদের সামনে জয়ের জন্য ৩৯৪ রানের লিড দাঁড় করায়। ভারতের হয়ে প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি করা রোহিত শর্মা দ্বিতীয় ইনিংসে খেলেন ১২৭ রানের অসাধারণ ইনিংস। সঙ্গে চেতেশ্বর পূজারার ৮১ রানে ভর করে বড় লিড পেয়ে যায় রবি শাস্ত্রীর শিষ্যরা।
খেলা, ক্রিকেট, ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা
‘ডিজিটাল পর্যটন’ উৎসব পালনের উদ্যোগ
প্রকাশ: ০৫ অক্টোবর ২০১৯ | ০৭:০৪
২০২০ সালে বছরব্যাপী ‘ডিজিটাল পর্যটন’ উৎসব পালনের উদ্যোগ নিয়েছে বেসরকারি দুটি প্রতিষ্ঠান। টেকগনাইজ সল্যুশন লিমিটেড এবং রান বাংলাদেশ যৌথভাবে এ উৎসব আয়োজন করতে যাচ্ছে। এ উপলক্ষে সম্প্রতি দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। টেকগনাইজ সল্যুশন লিমিটেডের পরিচালক আসসাফফাত সুহৃদ বলেন, তৃণমূল পর্যায়ে পর্যটন সেবা পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে আমাদের এ উদ্যোগ। তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে সহজেই ঘরে ঘরে যাবে পর্যটন সেবা এজন্য আমরা এর নাম দিয়েছি ‘ডিজিটাল পর্যটন’ উৎসব।রান বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা মজিবুর রহমান রানা বলেন, পর্যটন সেবাকে অনলাইনে আরও সহজলভ্য করতে কাজ করছে ‘রান বাংলাদেশ’। অল্প সময়ে কম খরচে জনগণের কাছে পর্যটন সেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে আমরা নতুন এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। বিজ্ঞপ্তি। 
ডিজিটাল পর্যটন
'এ' দলের হয়ে মুমিনুলের সেঞ্চুরি
প্রকাশ: ০৫ অক্টোবর ২০১৯ | ০৭:১৮
শ্রীলংকা 'এ' দলের বিপক্ষে বাংলাদেশ 'এ' দলের চার দিনের প্রথম আন অফিসিয়াল ম্যাচটির পারফরম্যান্স মন মতো হয়নি মুমিনুলদের। শ্রীলংকা প্রথমে ব্যাট করে দুই সেঞ্চুরিতে ৪৫০ রান তোলে। জবাব দিতে নামা বাংলাদেশও একেবারে খারাপ খেলেনি প্রথম ইনিংসে। তবে জহুরুল ইসলাম এবং মোহাম্মদ মিঠুন নব্বই রানের কোটায় গিয়ে আউট হয়ে যায়। শ্রীলংকা প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে লিড নেয়।সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ আন অফিসিয়াল ম্যাচে অবশ্য লিড নিয়ে ব্যাট করছে বাংলাদেশ 'এ' দল। শ্রীলংকা প্রথম ইনিংসে ২৬৮ রানে অলআউট হয়ে যায়। শেষ ৪৭ রানে ৫ উইকেট হারায় তারা। বাংলাদেশ 'এ' দলের হয়ে ৭ উইকেট নেন মেহেদি মিরাজ। জবাব দিতে নামা বাংলাদেশ দল ২২ রানে দুই উইকেট হারায়। এরপর ঘুরে দাঁড়ায়। বাংলাদেশ 'এ' দলের অধিনায়ক মুমিনুল ইসলাম ১১৭ রান করে আউট হন। তিনি ১৫টি চারের সঙ্গে একটি ছক্কা মারেন।তার সঙ্গে বড় জুটি গড়া সাদমান ইসলাম খেলেন ৭৭ রানের ইনিংস। পরে অবশ্য মোহাম্মদ মিঠুন ২১ এবং আনামুল হক বিজয় ৮ রানে আউট হয়ে যান। তবে নুরুল হাসান ৩৫ এবং মেহেদি হাসান মিরাজ ৬ রান করে দিন শেষ করেন। শ্রীলংকা 'এ' দলের হয়ে মোহামেদ সিরাজ শাহাহাব নেন ৩ উইকেট। 
খেলা, ক্রিকেট, বাংলাদেশ 'এ'-শ্রীলংকা 'এ'
টেকনাফে গাঁজাসহ দুই নারী আটক
প্রকাশ: ০৫ অক্টোবর ২০১৯ | ০৭:২২
কক্সবাজারের টেকনাফে ১০ কেজি গাঁজাসহ দুই নারী মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে র‌্যাব-১৫।  শনিবার ভোরে টেকনাফ পৌরসভার পুরাতন পল্লান পাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।আটক নারী মাদক ব্যবসায়ীরা হলেন-টেকনাফ পৌরসভার কায়ুকখালী পাড়া এলাকার হোসন আলীর স্ত্রী তৈয়ুবা (৩৮) ও পুরাতন পল্লান পাড়া এলাকায় মৃত ছলিমের স্ত্রী রশিদা (৪২)।র‌্যাব-১৫, সিপিসি-১ টেকনাফ ক্যাম্প ইনচার্জ লে. মির্জা শাহেদ মাহাতাব এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।তিনি বলেন, ওই সময় র‌্যাবের একটি বিশেষ দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে টেকনাফ পৌরসভার পুরাতন পল্লান পাড়া এলাকায় রাশেদ মুন্সির ভাড়া বাসায় গাঁজা বিক্রি করার খবরে অভিযানে যায়। এসময় তল্লাশি চালিয়ে ১০ কেজি গাঁজাসহ তাদের আটক করা হয়। উদ্ধারকৃত গাঁজার আনুমানিক মূল্য ২ লাখ টাকা।
টেকনাফ, গাঁজা
ঝুঁকিপূর্ণ রাজশাহী শহর রক্ষা বাঁধে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা
প্রকাশ: ০৫ অক্টোবর ২০১৯ | ০৭:৪৩
ঝুঁকিপূর্ণ রাজশাহী শহর রক্ষা বাঁধে সর্বসাধারণের প্রবেশ বন্ধ করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। রাজশাহী পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী শহিদুল আলম জানান, বাঁধটি স্রোতের মুখে পড়ে কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জনসাধারণের প্রবেশে বাড়তি সমস্যা হতে পারে বলে সাময়িক এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। তিনি জানান, বাঁধ রক্ষায় ইতিমধ্যে আড়াই হাজার জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছে।এদিকে কমতে শুরু করেছে রাজশাহী পয়েন্টে পদ্মার পানি। পাউবোর উপাত্ত সংগ্রহকারী এনামুল হক জানান, শনিবার সকাল ৯টায় পানির উচ্চতা ছিল ১৮ দশমিক ১৫ মিটার। গত বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় এ বছরের সর্বোচ্চ পানির উচ্চতা ছিল ১৮ দশমিক ১৯ মিটার। এখন প্রতিদিনই পানি কমছে।এদিকে রাজশাহীর পবা, চারঘাট, বাঘা ও গোদাগাড়ী উপজেলার চরাঞ্চলের পানিবন্দি হয়ে থাকা মানুষ নিরাপদ স্থানে সরে গেছেন। সরকারি ও বেসরকারিভাবে তাদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ চলছে।
রাজশাহী শহর রক্ষা বাঁধ
বগুড়ায় ভুয়া প্রতিষ্ঠান খুলে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা, গ্রেফতার ৫
প্রকাশ: ০৫ অক্টোবর ২০১৯ | ০৭:৫২
ভুয়া প্রতিষ্ঠান খুলে উচ্চ বেতনে চাকরি দেওয়ার কথা বলে প্রার্থীদের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে নওগাঁর এক সাংবাদিকসহ ৫ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে বগুড়া পুলিশ। শুক্রবার সকালে গ্রেফতারের পর রাতে তাদের বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা হয়েছে। গ্রেফতার পাঁচজনের মধ্যে দু'জন নওগাঁর বাসিন্দা এবং বকি তিনজনের বাড়ি বগুড়ায়। পুলিশ বলছে, তারা সবাই নওগাঁর 'হরিরামপুর দুস্থ মহিলা বহুমুখী সংস্থা (এইচডিএমবিএস)' নামে অনুমোদনহীন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সম্পৃক্ত।গ্রেফতার পাঁচজন হলেন- একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের নওগাঁ প্রতিনিধি জেলার পার নওগাঁ এলাকার মামুনুর রশিদ বাবু, একই জেলার বদলগাছি উপজেলার বেগুন জোয়ার গ্রামের তৌহিদুল ইসলাম, বগুড়া সদরের ধরমপুরের হাফিজার রহমান, বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার মোড় গ্রামের মিজানুর রহমান ও শেরপুর উপজেলার আমিনপুর গ্রামের এমএ মালেক। তাদের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও বিশ্বাস ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়েছে।মামলার বাদী চাকরিপ্রত্যাশী বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার দোপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুস সোবহানের ছেলে ফরহাদ আলম এজাহারে অভিযোগ করেছেন, আসামিরা নওগাঁর হরিরামপুর দুস্থ মহিলা বহুমুখী সংস্থার নামে ১৪টি পদে ৫৮৮ জন লোক নিয়োগের জন্য গত ২২ আগস্ট বগুড়া থেকে প্রকাশিত দৈনিক করতোয়া পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে।ফরহাদ আলম জানান, চাকরি পাওয়ার আশায় তিনিসহ সহস্রাধিক ব্যক্তি সেখানে আবেদন করেন। এরপর তাকেসহ তিন শতাধিক আবেদনকারীকে ফোন দিয়ে ৪ অক্টোবর শুক্রবার সকাল ৯টার মধ্যে বগুড়া সদরের নুনগোলা ইউনিয়ন পরিষদের সামনে প্রতিষ্ঠানটির স্থানীয় কার্যালয়ে সাক্ষাতের জন্য হাজির থাকতে বলা হয়। তিনি শুক্রবার সকালে নুনগোলা ইউনিয়ন পরিষদের সামনের একটি বাড়ির দোতলায় হরিরামপুর দুস্থ মহিলা বহুমুখী সংস্থা লেখা একটি কাপড় ঝুলতে দেখেন এবং চাকরি প্রার্থীদের ভিড়ও দেখতে পান। একপর্যায়ে তাকে সাক্ষাৎকার গ্রহণের জন্য ভেতরে ডেকে নেওয়া হয়। তবে চাকরি দেওয়ার কথা বলে তার কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা নেওয়া হয়। পরে তিনি খবর নিয়ে জানতে পারেন অন্য প্রার্থীদের কাছ থেকেও ২ হাজার এবং ১ হাজার টাকা করে তারা নিয়েছে। এতে তিনিসহ অন্য চাকরি প্রার্থীদের সন্দেহ হলে তারা একজোট হয়ে সাক্ষাৎকার গ্রহণকারীদের কাছ থেকে চাকরি প্রদানের প্রমাণস্বরূপ নিয়োগপত্র দাবি করেন। তখন তারা টালবাহানা শুরু করেন। এতে প্রতারণার বিষয়টি জানাজানি হয়ে গেলে সেখানে হট্টগোল সৃষ্টি হয়। পরে জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করলে দুপুর ২টার দিকে বগুড়া সদর থানার এসআই খোরশেদ আলম ঘটনাস্থলে যান।এসআই খোরশেদ আলম জানান, তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করার পর হরিরামপুর দুস্থ মহিলা বহুমুখী সংস্থা নামে ওই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত উল্লিখিত পাঁচজনকে গ্রেফতার করেন এবং বিকেলে থানায় নিয়ে আসেন।বগুড়া সদর থানার ওসি এসএম বদিউজ্জামান জানান, কথিত ওই প্রতিষ্ঠানের কোনো অনুমোদন নেই। চাকরি প্রার্থীদের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার উদ্দেশ্যেই তারা পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেয়।
চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা, গ্রেফতার, বগুড়া
চট্টগ্রামে অস্ত্রসহ পাঁচ ছিনতাইকারী গ্রেফতার
প্রকাশ: ০৫ অক্টোবর ২০১৯ | ০৭:৫৮
চট্টগ্রাম নগরে অভিযান চালিয়ে পাঁচ ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করেছে নগর গোয়েন্দা পুলিশ। শনিবার নগরের খুলশী থানার সেগুনবাগান এলাকা থেকে অস্ত্রসহ তাদের গ্রেফতার করা হয়।গ্রেফতারকৃতরা হলেন- মো. সোহেল, ইয়াসিন ফারুক, মোহাম্মদ আরিফ, মো. নুর নবী ও মো. জাহেদ। তাদের কাছ থেকে একটি দেশে তৈরি এলজি, এক রাউন্ড কার্তুজ, তিনটি ছোরা ও একটি চাপাতি উদ্ধার করা হয়েছে।নগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক অংসা থোয়াই মারমা জানান, গ্রেফতার পাঁচজনের বিরুদ্ধে নগরের বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। ছিনতাইয়ের জন্য জড়ো হয়েছে- এমন তথ্য পেয়ে গতকাল অভিযান চালিয়ে অস্ত্রসহ তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে খুলশী থানায় পৃথক দুটি মামলা করা হয়েছে।
ছিনতাইকারী গ্রেফতার, চট্টগ্রাম