Title
stringlengths
1
106
Time
stringlengths
28
73
Content
stringlengths
0
42.5k
Tags
stringlengths
0
210
নয়াদিল্লি পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী
প্রকাশ: ০২ অক্টোবর ২০১৯ | ২১:২৫ | আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০১৯ | ০১:২৯
ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) ইন্ডিয়াইকোনোমিক সামিটে যোগ দিতে চার দিনের সরকারি সফরে নয়াদিল্লি পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে নয়াদিল্লির পালাম বিমান ঘাঁটিতে পৌঁছায় শেখ হাসিনা ও তার সফর সঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ভিভিআইপি একটি ফ্লাইট। খবর বাসসেরএর আগে সকাল সোয়া ৮টার দিকে প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে যাত্রা করে ফ্লাইটটি।এ সময় প্রধানমন্ত্রীকে বিমানবন্দরে বিদায় জানাতে অন্যান্যের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, চীপ হুইপ নুর-ই-আলম চৌধুরী লিটন, বেসামরিক বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী, মন্ত্রী পরিষদ সচিব এবং তিন বাহিনীর প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।টানা তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণের পর শেখ হাসিনা তার প্রথম ভারত সফরে ৫ অক্টোবর নয়াদিল্লিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে বৈঠক করবেন। তিনি একই দিন ভারতের রাষ্ট্রপতি শ্রী রামনাথ কোবিন্দের সাথে রাষ্ট্রপতি ভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি সোনিয়া গান্ধী ৬ অক্টোবর বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রীর সাথে তার সফরকালীন আবাসে সাক্ষাৎ করবেন।ওইদিন শেখ হাসিনা হোটেল তাজ প্যালেসের দরবার হলে ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরামের ইন্ডিয়া ইকোনোমিক সামিটে বাংলাদেশের ওপর কৌশলগত সংলাপে যোগ দেবেন। একই দিন তিনি তার সম্মানে বাংলাদেশ হাই কমিশনের মৈত্রী হল ও বাংলাদেশ হাউসে আয়োজিত অভ্যর্থনা ও নৈশভোজে যোগ দেবেন। ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাই কমিশনার এ নৈশভোজের আয়োজন করবেন।৪ অক্টোবর বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী তিয়ানে আইসিটি মোরিয়ায় ভারতীয় সিইওদের সাথে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে যোগ দিবেন। এছাড়া তিনি আইসিটি মোরিয়ার কমল মহলে ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ বিজনেস ফোরামের (আইবিবিএফ) উদ্বোধনী অনুষ্ঠান এবং হোটেল তাজ প্যালেসের দরবার হলে ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরামের সমাপনী অধিবেশনে যোগ দেবেন।সিঙ্গাপুরের উপ প্রধানমন্ত্রী হেং সুই কিয়েট বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।কর্মকর্তারা বলেন, সম্প্রতি নিউইয়র্কের ৭৪তম জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনের ফাঁকে বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রীর সাথে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর যে ইস্যুগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে, হায়দ্রাবাদ হাউসের বৈঠকে দুই প্রধানমন্ত্রী ওই ইস্যুগুলোই পর্যালোচনা করবেন।একই দিন, কয়েকটি এক্সচেঞ্জ অব এগ্রিমেন্ট ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হবে এবং ঐতিহাসিক হায়দ্রাবাদ হাউস থেকে দু’দেশের প্রধানমন্ত্রী যৌথভাবে কয়েকটি প্রকল্প উদ্বোধন করবেন।এদিন এর আগে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস. জয়শংকর বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রীর সাথে তার সফরকালীন আবাসে সাক্ষাৎ করবেন। শেখ হাসিনা একই দিন মধ্যাহ্ন ভোজে যোগ দিবেন এবং হায়দ্রাবাদ হাউসে দর্শনার্থী বইয়ে স্বাক্ষর করবেন।ভারতের প্রখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক শ্যাম বেনেগাল বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করবেন। তাকে বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে একটি চলচ্চিত্র তৈরির দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।প্রধানমন্ত্রী আগামী ৬ অক্টোবর দেশে ফিরবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
নয়াদিল্লি, শেখ হাসিনা
৯ বছরে ‘উইকিমিডিয়া বাংলাদেশ’
প্রকাশ: ০২ অক্টোবর ২০১৯ | ২২:২০
বাংলাদেশে মুক্ত বিশ্বকোষ বাংলা উইকিপিডিয়া নিয়ে কাজ করা অলাভজনক সংস্থা ‘উইকিমিডিয়া বাংলাদেশ’ নবম বছরে পদার্পন করতে যাচ্ছে। উইকিপিডিয়ার তত্ত্বাবধানকারী যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অলাভজনক সংস্থা উইকিমিডিয়া ফাউন্ডেশন ২০১১ সালের ৩ অক্টোবর বাংলাদেশে তাদের স্থানীয় চ্যাপ্টার অনুমোদন করে। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে উইকিমিডিয়া বাংলাদেশের বোর্ডের পক্ষে সভাপতি শাবাব মুস্তাফা এক শুভেচ্ছা বার্তায় বলেন, উইকিপিডিয়া, বিশেষ করে বাংলা উইকিপিডিয়ার মুক্ত জ্ঞান ভাণ্ডার সমৃদ্ধ করা, উইকিপিডিয়ায় কাজ করা বাংলাদেশি স্বেচ্ছাসেবকদের সহায়তা ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে সাথে নিয়ে এ তথ্যভাণ্ডারে তথ্য যুক্ত করতে সবাইকে উৎসাহ প্রদানের উদ্দেশ্যে ৮ বছর আগে উইকিমিডিয়া বাংলাদেশের যাত্রা শুরু হয়। উইকিমিডিয়া বাংলাদেশের অষ্টম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে উইকিপিডিয়ার শিক্ষামূলক কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারী স্বেচ্ছাসেবক ও শুভানুধ্যায়ীদের ধন্যবাদ জানাই।উল্লেখ্য, উইকিমিডিয়া বাংলাদেশ-উইকিপিডিয়ার শিক্ষামূলক কাজ প্রচার, প্রসার ও এ সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টিতে দেশব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা, উইকিপিডিয়ার নিবন্ধের মান ও সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য নিবন্ধ প্রতিযোগিতা, বাংলাদেশের সৌন্দর্য বিশ্বের সামনে উপস্থাপন করতে আলোকচিত্র প্রতিযোগিতা, উইকিমিডিয়া প্রকল্পে নারীদের সম্পৃক্ততা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন ধরনের সচেতনতা কর্মসূচি এবং সম্মেলনসহ বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে। ২০১৬ সালে ইতালিতে অনুষ্ঠিত উইকিপিডিয়ার বার্ষিক সম্মেলন ‘উইকিম্যানিয়া’য় উইকিমিডিয়া বাংলাদেশের ‘উইকিপিডিয়া স্কুল প্রোগ্রাম’ শীর্ষক একটি প্রকল্প শিক্ষামূলক তিনটি সেরা প্রকল্পের মধ্যে একটি বলে বিবেচিত হয়েছিল।ভাষাগত দিক থেকে উইকিমিডিয়ার বাংলা প্রকল্পগুলো উইকিমিডিয়া বাংলাদেশের মূল মনোযোগের স্থান হলেও, বাংলার পাশাপাশি অন্যান্য আঞ্চলিক ভাষার প্রকল্প যেমন সাঁওতালি উইকিপিডিয়া, বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরী উইকিপিডিয়া ও ইংরেজি প্রকল্পগুলোর প্রসার ও সমৃদ্ধিতেও সংস্থাটি কাজ করে থাকে। বর্তমানে উইকিমিডিয়া ফাউন্ডেশনের ৩৭টি আঞ্চলিক চ্যাপ্টার রয়েছে যার মধ্যে দক্ষিণ এশিয়াতে একমাত্র চ্যাপ্টার রয়েছে বাংলাদেশে।
উইকিমিডিয়া
কাকরাইলে ট্রাকের ধাক্কায় র‌্যাব সদস্য নিহত
প্রকাশ: ০২ অক্টোবর ২০১৯ | ২২:২৬ | আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০১৯ | ০৪:০৫
রাজধানীর কাকরাইল মোড়ে ট্রাকের ধাক্কায় হোসেন মাহমুদ (৩২) নামে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) এক সদস্য নিহত হয়েছেন।বুধবার দিনগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।মাহমুদ র‌্যাব সদর দফতরে কর্মরত ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি পিরোজপুর জেলায়।রমনা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. রেজাউল করিম জানান, বুধবার রাতে একটি ট্রাক পেছন থেকে মাহমুদের মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়। তাতে মাহমুদ মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে গুরুতর আঘাত পান। ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।দুর্ঘটনার জন্য দায়ী ট্রাকটি পুলিশ জব্দ করলেও চালক পালিয়ে গেছেন বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা। 
সড়ক দুর্ঘটনা, নিহত
নামেই হাসপাতাল, কাজে ইন্টার্ন সনদ ব্যবসার প্রতিষ্ঠান
প্রকাশ: ০২ অক্টোবর ২০১৯ | ২২:৪৬
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় হামদর্দ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে 'হাকীম ডা. মো. ইউছুফ হারুন ভূঁইয়া হাসপাতাল' নামে একটি হাসপাতাল গড়ে উঠলেও এর নেই সরকারি অনুমোদন। হাসপাতালটি ব্যবহার করে চলছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টার্ন বাণিজ্য। গত ১৮ সেপ্টেম্বর মুন্সীগঞ্জের সিভিল সার্জন কার্যালয়ের একটি টিম গজারিয়ায় হাসপাতালটি পরিদর্শনে গেলে সেখানকার লোকজন তাদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। মামলার অজুহাত দেখিয়ে কোনো কাগজপত্র দেখাতেও অপারগতা প্রকাশ করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। পরে বিষয়টি উল্লেখ করে জেলা সিভিল সার্জন শেখ ফজলে রাব্বী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল) বরাবর একটি চিঠি দেন।জানতে চাইলে সিভিল সার্জন শেখ মো. ফজলে রাব্বী বুধবার সমকালকে বলেন, সরকারি অনুমোদন থাকলে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সংরক্ষিত তালিকায় 'হাকীম ডা. মো. ইউছুফ হারুন ভূঁইয়া হাসপাতাল'-এর নাম থাকত। সরকারি অনুমোদনের কোনো চিঠি নেই তার দপ্তরে। তিনি জানান, গত ১৮ সেপ্টেম্বর হাসপাতালটি পরিদর্শনে গেলে হামর্দদ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আদালতে মামলার অজুহাত দেখিয়ে প্রতিষ্ঠানটির বৈধ কাগজপত্র দেখাতে অপারগতা প্রকাশ করে। তাই হাসপাতালে রোগীর শয্যা সংখ্যা, চিকিৎসা সেবার ধরন এবং ইন্টার্ন প্রশিক্ষণ করার উপযুক্ত কি-না, তা যাচাই করা সম্ভব হয়নি। তবে সরেজমিনে দেখা গেছে, সরকারি অনুমোদন পেতে যেসব সরঞ্জাম ও অবকাঠামো প্রয়োজন হয়, তা সেখানে নেই। সার্জারিসহ অন্যান্য বিভাগে কোনো সরঞ্জামই চোখে পড়েনি।জানা গেছে, গত ২৬ সেপ্টেম্বর সরকারি ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ছাত্র সংসদের ভিপি মাঈনুদ্দিন মামুন, শিক্ষার্থী খন্দকার ফারুক আহমেদ, শরিফুল ইসলাম লিমন ও আবু সাঈদ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) একটি লিখিত অভিযোগ দেন। এতে তারা উল্লেখ করেন, 'হাকীম ডা. মো. ইউছুফ হারুন ভূঁইয়া হাসপাতাল' এর কোনো অস্তিত্ব নেই। অথচ প্রতিষ্ঠানটির দেওয়া ইন্টার্ন সনদপত্র ব্যবহার করে অনেকে চিকিৎসা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। হামদর্দ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ভুয়া ইন্টার্ন সনদ বিক্রি করে লাখ লাখ টাকার বাণিজ্য করছে। অভিযোগে তারা প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান। অভিযোগটি আমলে নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লাইন ডাইরেক্টর ডা. মো. হাবিবুর রহমান ৪টি বিষয় উল্লেখসহ জরুরিভিত্তিতে মুন্সীগঞ্জের সিভিল সার্জনকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেন।এদিকে প্রাপ্ত কাগজপত্র পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, চলতি বছরের ১৭ জুলাই হামদর্দ বিশ্ববিদ্যালয় তাদের প্রতিষ্ঠানের প্যাডে মুহাম্মদ ইউনুছ ও কুদরত উল্লাহ নামের দুই ব্যক্তিকে ইন্টারশিপ সনদ দেয়, যা ভুয়া ও জাল বলে দাবি শিক্ষার্থীদের।এসব বিষয়ে হামদর্দ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি। তবে সেখানে কর্মরত মেডিকেল অফিসার মোকশেদ আলী সমকালকে বলেন, এ প্রতিষ্ঠানের সরকারি অনুমোদন আছে কি-না তিনি অবগত নন।
মুন্সীগঞ্জ
মামার লাঠির আঘাতে ভাগ্নের মৃত্যু
প্রকাশ: ০২ অক্টোবর ২০১৯ | ২২:৫৪ | আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০১৯ | ০৪:০৮
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে মামার লাঠির আঘাতে আব্দুস জাব্বার (১২) নামের ভাগ্নের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। বুধবার বিকেলে উপজেলার মাধাইনগর ইউনিয়নের সরাপপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, ছেলেমেয়েদের মধ্যে খেলার সময় ঝগড়ার ঘটনা নিয়ে ওই গ্রামের মোহাম্মদ আলীর তার প্রতিবেশী ভগ্নিপতি রবিউল ইসলামের সঙ্গে কাটাকাটি হয়। এ সময় রবিউলের ছেলে ভাগ্নে আব্দুল জাব্বার ঘটনাস্থলে আসলে মামা মোহাম্মদ আলী তাকে রেগে গিয়ে লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটাতে থাকেন। একপর্যায়ে জাব্বার গুরুতর অসুস্থ হলে তাকে প্রথমে তাড়াশ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার সন্ধ্যায় সে মারা যায়। পরে বগুড়া পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। স্থানীয় ইউপি সদস্য হায়দার আলী জানান, জাব্বার মোহাম্মদ আলীর চাচাতো বোনের ছেলে।  এ প্রসঙ্গে তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, পুলিশ ঘটনাটি জেনেছে। বগুড়ায় ময়নাতদন্ত হচ্ছে। এখন পর্যন্ত থানায় কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।                        
সিরাজগঞ্জ, মৃত্যু
শৈলকুপায় স্কুলছাত্রকে কুপিয়ে হত্যা, ২ বন্ধু আটক
প্রকাশ: ০২ অক্টোবর ২০১৯ | ২৩:০৬ | আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০১৯ | ০৪:১১
ঝিনাইদহের শৈলকুপায় জুয়েল শেখ (১৫) নামে এক স্কুলছাত্রকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তার দুই বন্ধুকে আটক করেছে পুলিশ। উপজেলার সাদেকপুর গ্রামে বুধবার রাত ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। জুয়েল স্থানীয় বেনীপুর হাই স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র ছিল। সে সাদেকপুর গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে। আটকেরা হলো- সাদেকপুর গ্রামের রেজাউল জোয়াদ্দারের ছেলে রাতুল জোয়াদ্দার ও একই গ্রামের রিয়াজ উদ্দিনের ছেলে সাগর শেখ। রাতুল ও সাগর দু’জনেই বেনীপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র।নিহত জুয়েলের চাচাতো ভাই আব্দুল্লাহ বলেন, জুয়েল বুধবার বিকেলে কচুয়া বাজারে কচু বিক্রি করতে যায়। এরপর বাড়ি ফিরে সন্ধ্যার আগে সে গ্রামের একটি দোকানে কেরাম খেলার উদ্দেশ্যে বের হয়। এরপর রাত ৮টার দিকে তারা জানতে পারে গ্রামের বিলের মধ্যে জুয়েলের ক্ষত-বিক্ষত মরদেহ পড়ে আছে।সাদেকপুর গ্রামের দোকানদার তরিকুল ইসলাম বলেন, সন্ধ্যার আগে জুয়েল ও রাতুল তার দোকানে কেরাম খেলতে আসে। মাগরিবের আজানের সময় লোডশেডিং হলে রাতুল জুয়েলকে নিয়ে বাজারের উদ্দেশে রওনা হয়। এরপর রাত ৮টার দিকে জানতে পারি, বিলের মধ্যে জুয়েলকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বজলুর রহমান জানান, তারা রাত ৮টার দিকে জানতে পারেন, সাদেকপুর গ্রামের বিলের মধ্যে একটি মরদেহ পড়ে আছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে গ্রামবাসী শনাক্ত করে, নিহত ছেলেটি সাদেকপুর গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে। পুলিশ রাতেই জুয়েলের মরদেহ উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে।ওসি জানান, এ ঘটনায় বুধবার রাতেই তার দুই বন্ধু রাতুল ও সাগরকে আটক করা হয়। স্বীকারোক্তি মোতাবেক তাদের কাছ থেকে রক্তমাখা জামাকাপড় ও হত্যায় ব্যবহৃত একটি দা উদ্ধার করা হয়।
ঝিনাইদহ, কুপিয়ে হত্যা, স্কুলছাত্র
ভারী বর্ষণ হতে পারে
প্রকাশ: ০২ অক্টোবর ২০১৯ | ২৩:১৩
দেশের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।বৃহস্পতিবার সকালে আবহাওয়া অধিদফতরের আগামী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এতথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, ঢাকা, ময়মনসিংহ, রংপুর, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহহালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।আবহাওয়ার সার্বিক পর্যবেক্ষণে বলা হয়, মৌসুমী বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ উত্তর প্রদেশ, মধ্য প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের ওপর কম সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে দুর্বল থেকে মাঝারি অবস্থায় বিরাজ করছে।সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া
জবিতে ছাত্রদলের মিছিলে ছাত্রলীগের হামলা
প্রকাশ: ০২ অক্টোবর ২০১৯ | ২৩:৫৫
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের মিছিলে হামলা চালিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে এ হামলার ঘটনা ঘটে।জবি ছাত্রদল সভাপতি রফিকুল ইসলাম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের সামনে থেকে ছাত্রদল খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে মিছিল নিয়ে বের হয়।এ সময় শান্ত চত্বরের সামনে আসলে পেছন থেকে শাখা ছাত্রলীগের কর্মীরা ধাওয়া করে। হামলায় কয়েকজন আহত হয়েছে। তাদেরকে মিটফোর্ড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।হামলার সুষ্ঠু বিচার দাবি করে তিনি বলেন, আজ থেকে ক্যাম্পাসে নিয়মিত অবস্থান করবে ছাত্রদল।জবি প্রক্টর ড. মোস্তফা কামাল বলেন, সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে একজনকে আহত অবস্থায় প্রক্টর অফিসে আনা হয়। আমরা তাকে চিকিৎসার জন্য মিটফোর্ড হাসপাতালে পাঠিয়ে দিয়েছি। 
ছাত্রদল, ছাত্রলীগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
সেলিম প্রধান রিমান্ডে
প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০১৯ | ০০:৩০ | আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০১৯ | ০৯:০৬
অনলাইনে অবৈধ ক্যাসিনো ব্যবসার মূলহোতা সেলিম প্রধানসহ তিনজনকে চার দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ধীমান চন্দ্র মণ্ডল এ আদেশ দেন। সেলিম প্রধান ছাড়া অন্য দুইজন হলেন- রোমান ও আখতারুজ্জামান।আদালতে বুধবার সেলিম প্রধান ও তার এই দুই সহযোগীকে গ্রেফতার দেখানো এবং সাত দিন করে রিমান্ড আবেদন করেন গুলশান থানার পরিদর্শক (অপারেশন) আমিনুল ইসলাম। বৃহস্পতিবার এ আবেদনের শুনানি হয়। শুনানি শেষে আদালত প্রত্যেকের বিরুদ্ধে চারদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।এর আগে সোমবার দুপুরে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে থাই এয়ারওয়েজের টিজি-৩২২ নম্বর ফ্লাইটটি ছাড়ার আগমুহূর্তে সেলিম প্রধানকে আটক করা হয়। তিনি বাংলাদেশে অনলাইনে ক্যাসিনো ব্যবসায়ের মূলহোতা বলে জানায় র‌্যাব।ওইদিন তার গুলশান ও বনানীর বাসায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ নগদ টাকা, বৈদেশিক মুদ্রা, ব্যাংক চেক ও বিদেশি মদ উদ্ধার করা হয়।পরে বুধবার তার বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং আইন ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে দুটি মামলা করে র‌্যাব। র‌্যাব সূত্র জানিয়েছে, গুলশানে সেলিম প্রধানের অনলাইন ক্যাসিনোর নেপথ্যেছিলেন উত্তর কোরিয়ার নাগরিক মি. দো। থাইল্যান্ডে বসবাসকারী ওই ব্যক্তিরমাধ্যমেই ২০১৮ সালে অনলাইন ক্যাসিনো খোলেন তিনি। মতিঝিলের ক্লাবপাড়াগুলোতেযে কোনো ব্যক্তিই ক্যাসিনো খেলত। তবে সেলিম প্রধানের গ্রাহকরা ছিলেন সমাজেরউঁচু স্তরের। সেলিম প্রধানের অনলাইন জুয়ার মূল সার্ভার ফিলিপাইনের ম্যানিলায়। তিনি সেখানথেকে অনলাইন জুয়ার কপিরাইট কিনে ঢাকায় চালাচ্ছিলেন এই অবৈধ ব্যবসা।ম্যানিলাকেন্দ্রিক বিশ্বের কুখ্যাত বেশ কয়েক জুয়াড়ির সঙ্গেও রয়েছে সেলিমপ্রধানের উষ্ণ যোগাযোগ। র‌্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এ-সংক্রান্ত তথ্যদিয়েছেন তিনি।
সেলিম প্রধান, ক্যাসিনো
ভারতে জঙ্গি হামলার শঙ্কা আমেরিকার
প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০১৯ | ০০:৩২ | আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০১৯ | ০৩:৫৮
ভারতে ফের সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কা করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দায়িত্বপ্রাপ্ত অতিরিক্ত মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব র‌্যান্ড্যাল শ্রিভার মঙ্গলবার এই আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ভারতে সীমান্ত পারের সন্ত্রাসবাদে যুক্ত জঙ্গি গোষ্ঠীগুলির নিয়ন্ত্রণে পাকিস্তান তৎপর না হলে এমন হামলা হতে পারে বলে অনেকেই ধারণা করছেন। চীনসহ বিশ্বের কোনো দেশই সেটা চাইবে না। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।কাশ্মীর প্রশ্নে পাকিস্তানকে চীনের সমর্থনের বিষয়টি নিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে মার্কিন সহকারী সচিব বলেন, চীনের এই সমর্থন কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক। এর চেয়ে বেশি কিছু বলে আমি মনে করি না।ভারতের গোয়েন্দা সংস্থাগুলি সম্ভাব্য জঙ্গি হামলার বিষয়ে আগেই সরকারকে জানিয়েছে বলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রে জানা গেছে। ভারতের নিয়ন্ত্রণ রেখা এবং সীমান্তে প্রশিক্ষিত জঙ্গিদের জড়ো করা হয়েছে এমন খবরও মিলেছে। তার মধ্যে মার্কিন আশঙ্কা নতুন মাত্রা যোগ করলো। কাশ্মীরের জঙ্গিদের অর্থায়নের বিষয়ে তদন্ত করছিল ভারতের জাতীয় তদন্ত সংস্থা (এনআইএ)। সূত্রের খবর, এনআইএ প্রমাণ পেয়েছে, দিল্লিতে পাক হাই কমিশনের দফতর থেকেই কাশ্মীরের সন্ত্রাসবাদীদের অর্থ দেওয়া হয়েছে। শীঘ্রই এ বিষয়ে আদালতে চার্জশিট দেবে এনআইএ।
ভারত, হামলা
‘কোনো শিল্পীর অধিকার কেড়ে নেওয়া ঠিক নয়’
প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০১৯ | ০০:৪৬ | আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০১৯ | ০১:৫৬
মৌসুমী। ঢাকাই চলচ্চিত্রের নন্দিত অভিনেত্রী। ১৯৯৩ সালের ২৫ মার্চ সোহানুর রহমান সোহানের 'কেয়ামত থেকে কেয়ামত' ছবির মাধ্যমে রূপালি পর্দায় অভিষেক হয় তার। এ বছর তিনি চলচ্চিত্র অভিনয়ের ২৫ বছর পার করেছেন। এবার বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে প্রথমবার সভাপতি পদে লড়ছেন তিনি। নির্বাচনে অংশগ্রহণের নানা প্রসঙ্গ নিয়ে কথা হলো তার সঙ্গে-১৯৮৪ সালে শিল্পী সমিতির প্রথম নির্বাচন থেকে আজ পর্যন্ত কোনো অভিনেত্রী সভাপতির পদে নির্বাচন করেননি। আপনি কী মনে করে এলেন?এটা তো ভয়ঙ্কর কোনো স্থান নয় যে অভিনেত্রীদের আসতে ভয় পেতে হবে। রাজনৈতিক দলাদলি এবং হুমকি-ধমকিরও কোনো বিষয় নেই। এখানে যারা আছেন তারা সবাই আমার বড় বা ছোট ভাইবোন। আমরা সবাই চলচ্চিত্র পরিবারের মানুষ। তাই এখানে নারী দাঁড়ালেই কী, আর পুরুষ দাঁড়ালেই কী। তবে নারীদের সব ক্ষেত্রেই এগিয়ে আসা উচিত।এই নির্বাচন নিয়ে আপনার প্রত্যাশা কী?আমার অভিনয় জীবনের শুরু থেকে সবসময়ই শিল্পীদের পাশে থেকেছি। শিল্পীদের পাশে আরও সক্রিয়ভাবে অংশ নেওয়ার জন্যই নির্বাচনে অংশ নিয়েছি। আমাদের শিল্পী সমিতি সুন্দর একটা সংগঠন। এটা শিল্পীদের অনেক তাৎপর্য বহন করে। সংগঠনটি ভালোভাবে পরিচালিত হবে সবার মতো আমারও প্রত্যাশা।গত নির্বাচনে সাধারণ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর কমিটি থেকে সরে গিয়েছিলেন। বর্তমান কমিটির কার্যক্রমে আপনি সন্তুষ্ট?যারা আগে শিল্পী সমিতি পরিচালনা করেছেন, এখনও করছেন তারা তাদের মতো করে ভালো করেছেন। যদিও ক্ষেত্র বিশেষে কারও কারও বিষয়ে প্রশ্ন থাকতে পারে। যেহেতু নির্বাচিত হওয়ার পর ব্যক্তিগত কারণে আমি কমিটি থেকে পদত্যাগ করেছিলাম। ফলে কমিটির ভেতর কী হয়েছে সেটি জানি না। এবার বিজয়ী হলেই জানতে পারব কমিটি কী করেছে, কী করেনি।তার মানে বর্তমান কমিটি নিয়ে যে প্রশ্নগুলো উঠেছে, জয়ী হলে তার উত্তর বের করতে পারবেন বলে মনে হয়?বর্তমান কমিটি নিয়ে অনেকেই আমার কাছে প্রশ্ন করেছেন, নানা বিষয়ে অভিযোগও করেছেন। বর্তমান কমিটির বিপরীতে কোনো প্যানেল দাঁড়ায়নি বলেই আমি দাঁড়িয়েছি। জয়ী হলে অবশ্যই তাদের প্রশ্নগুলোর উত্তর বের করব, সমস্যার সমাধানও করব।আপনি আর ডিএ তায়েব মিলে প্যানেল দিয়েছেন। এই প্যানেলে আর কারা থাকছেন?আমি গ্রুপিংয়ে বিশ্বাস করি না। সবাই মিলে কাজ করলে যে কোনো কাজই সহজ হয়। তাই তো সবাই মিলে কাজ করতে চাই। শিল্পীরা কাকে চাচ্ছেন সেটা আগে জানা বেশি জরুরি। তারপরও একটা প্যানেলের হয়ে তো আসতে হয়, তাই আসা। এই প্যানেল তৈরির আগে অনেকেই এখানে থাকার আশ্বাস দিয়েছিলেন। তারা এখন পিছিয়ে গেছেন। তাই শেষ সময়ে কারা আমাদের সঙ্গে থাকছেন সেটা নমিনেশন পেপার জমা দেওয়ার পরই বলতে পারব।যদি জয়ী হন তাহলে প্রথম কোন কাজটি করবেন?সমিতি নিয়ে সবাই যেমন ভাবছে আমিও তেমনই ভাবছি। তবে সমিতির নতুন নেতৃত্ব যেই জয়ী হয়ে আসুক সবার কাছে আমার প্রথম চাওয়া থাকবে সমিতি পরিচালনার সিস্টেম যেন আরও আধুনিকায়ন ও ডিজিটাল হয়। প্রত্যেক শিল্পীর সম্মানের দিকে নজর দেওয়া হয়।শিল্পী সমিতিতে আগে ভোটার ছিল ৬২৪ জন। এবার ৪৪৯ জন। অভিযোগ উঠেছে, সমিতির গঠনতন্ত্রের বাইরে গিয়ে ১৭৫ সদস্যকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে আপনি কী মনে করেন?বিষয়টি শুনেছি। ক্যাবিনেটে থাকলে এ বিষয় নিয়ে কথা বলতে পারতাম। সদস্যদের বাদ দিয়েছে বর্তমান কমিটি। হুট করে একজন শিল্পীর অধিকার কেড়ে নেওয়া ঠিক নয়।
মৌসুমী, সাক্ষাৎকার, বিনোদন , শিল্পী সমিতির নির্বাচন
কাশ্মীরে খুলছে সব স্কুল
প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০১৯ | ০০:৫৪
প্রায় দুই মাস বন্ধ থাকার পর ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে খুলছে স্কুল। জম্মু ও কাশ্মীর প্রশাসনের নির্দেশ অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার থেকে ওই অঞ্চলের সব স্কুলের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করার কথা। গত ৫ আগস্ট ৩৭০ ধারা বাতিলের পর থেকে কারফিউ জারি করায় বন্ধ ছিল সেখানকার স্কুলগুলো।  উপত্যকার সব ডেপুটি কমিশনার এবং স্কুল শিক্ষা বিষয়ক পরিচালক বশির আহমেদ খান সোমবার বৈঠক করে এই সিদ্ধান্ত নেন। তিনি জানান, এই দুই মাস যেন শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কোনো টিউশন ফি বা পরিবহন ফি নেওয়া না হয়। খবর এনডিটিভির।তিনি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিশ্চিত করতে বলেন, বৃহস্পতিবার যেন সব সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তাদের কার্যক্রম শুরু করে।আগামী ৯ অক্টোবর খুলবে কাশ্মীরের সব কলেজ। এর আগেও স্কুলগুলো খোলা হলেও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত হয়নি। শুধু শিক্ষক আর কর্মীরা গিয়েছিলেন স্কুলে।সোমবার বৈঠকে জানানো হয়, মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজগুলো ইতোমধ্যে তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে। তাই শিক্ষার্থীদের স্কুলে পাঠাতে আহ্বান জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। 
কাশ্মীর, স্কুল
হজম সহায়ক পুদিনা পাতা
প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০১৯ | ০০:৫৭ | আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০১৯ | ০১:২৮
খাবার কিংবা সালাদের স্বাদ বাড়াতে পুদিনা পাতার জুড়ি নেই। যুগ যুগ ধরে এ পাতাটি ওষুধি হিসেবেও ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এ পাতাটি খেলে যেসব স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া যাবে-১. দাঁতের সুরক্ষায় পুদিনা পাতা দারুণ কাজ করে। মুখের দুর্গন্ধ দূর করতেও এ পাতার জুড়ি নেই। দাঁত ও মুখের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় প্রতিদিন ৫ থেকে ৬ টি পুদিনা পাতা চিবিয়ে খেতে পারেন। এ পাতার তৈরি চা পান করলে মুখের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। ২. ঠাণ্ডা- কাশির চিকিৎসায় পুদিনা পাতার জুড়ি নেই। এটি খেলে নিঃশ্বাস নেওয়া কিছুটা সহজ হয়।৩. মাংসপেশির ব্যথা দূর করতেও পুদিনা ভালো কাজ করে। বিশেষ করে পুদিনা পাতার তৈরি তেল, অলিভ অয়েল কিংবা বাদামের তেলের সঙ্গে মিশিয়ে আক্রান্ত স্থানে মালিশ করলে মাংসপেশির ব্যথা অনেকটা কমে যায়।৪. যাদের ব্রণের সমস্যা রয়েছে তারা আক্রান্ত স্থানে পুদিনা পাতা বেটে লাগাতে পারেন। এ মিশ্রণটি ব্রণের সমস্যা কমাতে ভালো কাজ করে। ৫. বদহজম দূর করতে পুদিনা পাতা বেশ কার্যকরী। কারও হজমে সমস্যা হলে পুদিনা পাতার চা খেতে পারেন। সূত্র : হেলদিবিল্ডার্জড
জীবনশৈলী, খাবার
উপাচার্যের অপসারণের দাবিতে জাহাঙ্গীরনগরে দ্বিতীয় দিনের মতো ধর্মঘট
প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০১৯ | ০০:৫৮ | আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০১৯ | ০১:৪৬
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের অপসারণের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয় দিনের মতো ধর্মঘট চলছে। বৃহস্পতিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ও পুরাতন প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে ধর্মঘট শুরু করেন ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ ব্যানারে আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। সকাল ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক নূরুল আলম এবং রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) রহিমা কানিজ নতুন প্রশাসনিক ভবনে নিজেদের কার্যালয়ে প্রবেশের চেষ্টা করলেও আন্দোলনকারীদের অবরোধের মুখে ফিরে যান।এর আগে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে সাতটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ও পুরাতন প্রশাসনিক ভবনের প্রতিটি ফটকে অবস্থান নিয়ে প্রবেশের পথ বন্ধ করে দেয় আন্দোলনকারীরা। এর ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। তবে বিভিন্ন বিভাগ ও ইনস্টিটিউটের চূড়ান্ত পরীক্ষা ধর্মঘটের আওতাহীন রয়েছে।উপাচার্যকে অপসারণের দাবির যৌক্তিকতা তুলে ধরে আজ বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্যের (রাষ্ট্রপতি) কাছে চিঠি দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনের মুখপাত্র অধ্যাপক রায়হান রাইন।তিনি বলেন, আমরা আজই আচার্যকে ফ্যাক্সের মাধ্যমে বর্তমান উপাচার্যকে অপসারণের যৌক্তিকতা জানাবো। উপাচার্যের দুর্নীতির বিষয়ে তাকে অবহিত করবো। আর দুপুরের মধ্যে আমরা বৈঠক করে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করবো।’এর আগে উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের বিরুদ্ধে উন্নয়ন প্রকল্পে দুর্নীতি ও নৈতিক স্খলনের অভিযোগ তুলে তার স্বেচ্ছা পদত্যাগে ১ অক্টোবর পর্যন্ত সময় বেধে দেন আন্দোলনকারীরা। ওই সময়ের মধ্যে পদত্যাগ না করায় বুধবার থেকে উপাচার্যকে অপসারণের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বাত্মক ধর্মঘট পালন করছে আন্দোলনকারী শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।এ দিকে আন্দোলনকারীদের দুর্নীতির অভিযোগ মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আখ্যা দিয়ে এর বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার বিভিন্ন অনুষদ ভবনে গণসংযোগ কর্মসূচি পালন করছে উপাচার্যের সমর্থক শিক্ষকদের সংগঠন ‘বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদ’। 
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, উপাচার্য, পদত্যাগ
লোকমানের 'মধুর হাঁড়ি' বিসিবি
প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০১৯ | ০১:০০
জাতীয় দলের হোম সিরিজ ও বিপিএলের গ্রাউন্ডস রাইটস কে-স্পোর্টসের কাছে। বিসিবি গ্রাউন্ডস কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন ভূঁইয়ার হাত ধরে ক্রিকেটের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক গড়ে তোলে এই ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠানটি। ২০১৭ সালের বিপিএলে কে স্পোর্টসের মাধ্যমেই গ্রাউন্ডসে এলইডি বোর্ডস সরবরাহ করেন লোকমান। এরপর থেকেই বিসিবিতে 'এলইডি লোকমান' নামে তাকে নিয়ে হাসিঠাট্টা করতেন খোদ কর্মকর্তারা। প্রায় পাঁচ কোটি টাকায় বিপিএলের গ্রাউন্ডস রাইটস তিন বছরের জন্য কেনে কে-স্পোর্টস। ২০১৮ সালে লোকমানের মাধ্যমেই প্রতিষ্ঠানটি জাতীয় দলের সিরিজের গ্রাউন্ডস রাইটস নেয় দুই বছরের জন্য। ২০২০ সালের ৩১ আগস্ট বিসিবির সঙ্গে চুক্তি আছে কে-স্পোর্টসের।এ সময়ে ছয়টি আন্তর্জাতিক সিরিজ হওয়ার কথা। এই সিরিজগুলোর জন্য বিসিবির সঙ্গে কে স্পোর্টসের চুক্তি হয় ব্যাংক গ্যারান্টি ছাড়া। এক বছর পেরিয়ে গেলেও কে-স্পোর্টসের কাছ থেকে বুধবার পর্যন্ত ব্যাংক গ্যারান্টি নেয়নি বিসিবি। এ ব্যাপারে বোর্ডের মার্কেটিং কমিটির চেয়ারম্যান শেখ সোহেলের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে থাইল্যান্ড থেকে তিনি জানান, ব্যাংক গ্যারান্টির বিষয়টি তার জানা নেই।একটা সময় ছিল, যখন চুক্তির স্বচ্ছতার খাতিরে স্পন্সর সংক্রান্ত সব তথ্যই সংবাদ সম্মেলনে প্রকাশ করত বিসিবি। স্পন্সর ও টিভি রাইটস কত টাকায় বিক্রি হয়েছে এর কোনো কিছুই অজানা থাকত না। কিন্তু কয়েক বছর ধরে স্পন্সর-সংক্রান্ত আর্থিক দিকগুলো গোপন বিষয় হয়ে গেছে। কে-স্পোর্টসের কাছে বিপিএল ও জাতীয় দলের গ্রাউন্ডস রাইস কত টাকায় বিক্রি হয়েছে তা গোপন রাখা হয়েছে। বিসিবির দায়িত্বশীল একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জাতীয় দলের গ্রাউন্ডস রাউটসের চুক্তির টাকা বিসিবিকে দেয়নি কে স্পোর্টস।ব্যাংক গ্যারান্টি না থাকায় তাদের ওপর চাপ প্রয়োগ করাও সম্ভব হচ্ছে না। এ নিয়ে বিসিবির সিইও নিজামউদ্দিন চৌধুরীর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে চাননি। তবে বোর্ডের মার্কেটিং কমিটির চেয়ারম্যান শেখ সোহেল বলেছেন, 'বিসিবির টাকা কাউকে ছাড় দেওয়ার সুযোগ নেই। আমি তো জানি, সব চুক্তিই স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে হয়। আমি জানি না, ব্যাংক গ্যারান্টি আছে কি নেই। যদি না থাকে, তাহলে দেশে ফেরার পর আমার প্রথম কাজই হবে ব্যাংক গ্যারান্টি নেওয়া এবং বকেয়া টাকা আদায় করা। ৭ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে টাকা তুলে ফেলব।'বিসিবি কর্মকর্তারা ব্যাংক গ্যারান্টি ছাড়া চুক্তির বিষয়ে চুপ থাকলেও কে-স্পোর্টসের সিইও ফাহাদ করিম সমকালের কাছে স্বীকার করেন, জাতীয় দলের গ্রাউন্ডস রাইসের চুক্তির বিপরীতে কোনো ব্যাংক গ্যারান্টি দেননি তিনি। তবে একটা মোটা অঙ্কের টাকা বিসিবিকে পরিশোধ করেছেন বলে দাবি তার, 'ব্যাংক গ্যারান্টি দিইনি এটা সত্যি; কিন্তু টাকা দিচ্ছি। গত বছর পর্যন্ত সব টাকা পরিশোধ করেছি। দুই কোটি টাকা দিয়েছি। হ্যাঁ, এ বছর কোনো টাকা দিইনি। সময়-সুযোগ করে পরিশোধ করে দেব।' যদিও বিসিবির একাধিক পরিচালক সমকালকে জানান, কে স্পোর্টসের সঙ্গে চুক্তির সিংহভাগ টাকাই বকেয়া।কয়েক বছর ধরে স্পন্সর-সংক্রান্ত সব চুক্তিই বিসিবির প্রভাবশালী পরিচালকরা করেছেন। তাদেরই একজন লোকমান হোসেন ভূঁইয়া। কোনো এক রহস্যজনক কারণে বিসিবির গুরুত্বপূর্ণ কমিটিগুলোতে রাখা হয় তাকে। বিশেষ করে কেনাকাটা-সংক্রান্ত কমিটিগুলোতে। বর্তমান ফ্যাসিলিটিস বিভাগের চেয়ারম্যান তিনি। বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলেরও সদস্য। বিসিবির যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত তাকে ছাড়া হয় না। এতে করে দিন দিন বিসিবিতে প্রভাবশালী হয়ে উঠেছেন লোকমান।বিসিবির একাধিক পরিচালক নাম গোপন রাখার শর্তে সমকালকে বলেছেন, কোটি কোটি টাকার মাটি সরবরাহের সঙ্গে সম্পৃক্ত আছেন লোকমান। অভিযোগ আছে, বিসিবির মাঠ সংস্কারের মাটি ভেড়িবাঁধের কাছে নিজস্ব জমি ভরাটের কাজে ব্যবহার করেছেন বিএনপির সাবেক এ নেতা।
খেলা, ক্রিকেট, বাংলাদেশ, বিসিবি, লোকমান
স্কটের সঙ্গে নেই কাইলি
প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০১৯ | ০১:০৪
মার্কিন তারকা মডেল কাইল জেনারকে ঘিরে সবসময় ভক্তদের আলাদা আগ্রহ রয়েছে। তবে সম্প্রতি বিভিন্ন মার্কিন গণমাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে প্রেমিক ট্রাভিস স্কটের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো যাচ্ছে না তার। তাই এ মার্কিন র‌্যাপারের সঙ্গে আলাদা থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কাইলি। এ জুটির একটি ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে, গত আগস্ট থেকে একসঙ্গে জনসমক্ষে আসেননি কাইলি ও স্কট। বেশ কিছু দিন ধরে তারা চেষ্টা করছেন সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে। মেয়ে স্টর্মিকে নিয়ে একসঙ্গে থাকছিলেন। কয়েক সপ্তাহ আগে তারা আপাতত আলাদা থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।২০১৭ সালের এপ্রিলে কাইলি ও ট্রাভিসের সম্পর্কের বিষয়টি প্রথম প্রকাশ্যে আসে। তার কয়েক মাসের মধ্যে অন্তঃসত্ত্বা হন কাইলি। ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে মা হন। এরপর প্রায়ই ইনস্টাগ্রামে তাদের ছবি পোস্ট করতেন কাইলি ও ট্রাভিস। এ ছাড়া একসঙ্গে ছুটি কাটাতেও দেখা গেছে তাদের।তবে গত ১০ সেপ্টেম্বর থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ট্রাভিসের সঙ্গে কাইলির কোনো পোস্ট দেখা যায়নি। এমনকি সম্প্রতি মেয়েকে নিয়ে পপ তারকা জাস্টিন বিবারের বিয়েতে গিয়েছিলেন এ মডেল। কিন্তু সেখানে ট্রাভিস ছিলেন না। মিডিয়ায় গুঞ্জন চলছে, আলাদা থাকলেও মেয়ের দেখভাল কাইলি-ট্রাভিস দু'জন মিলেই করবেন। তবে এ তারকা জুটির ভক্তরা এমন সংবাদ শুনে ভীষণ হতাশ। তাদের আশা, ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটিয়ে তারা আবার একসঙ্গে থাকবেন।
ট্রাভিস স্কট, কাইলি, হলিউড
যুক্তরাষ্ট্রে বোমারু প্লেন বিধ্বস্ত হয়ে নিহত ৭
প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০১৯ | ০১:৪০ | আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০১৯ | ০৪:০১
যুক্তরাষ্ট্রের কানেটিকাটে বোমারু প্লেন বিধ্বস্ত হয়ে সাতজন নিহত হয়েছেন। বুধবার সকালে কানেটিকাটে হার্টফোর্ডের কাছে ব্রাডলি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করার সময় বি-১৭ প্লেনটি বিধ্বস্ত হয়। খবর বিবিসির। দুর্ঘটনার পর বিমানবন্দরটির কার্যক্রম সাড়ে তিন ঘণ্টার জন্য বন্ধ ছিল।এক সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন ন্যাশনাল ট্রান্সপোর্ট সেইফটি বোর্ডের সদস্য জেনিফার হোমেনদি জানান, বোয়িং কোম্পানির তৈরি ফ্লায়িং ফোর্ট্রেস নামে পরিচিত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ সময়কালের বি-১৭ প্লেনটি ব্রাডলি বিমানবন্দর থেকে ডানা মেলেছিল। কিন্তু উড্ডয়নের পাঁচ মিনিট পরই প্লেনটির ক্রুরা বিমানবন্দরের এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোলের সঙ্গে যোগাযোগ করে সমস্যার কথা জানান।ক্রুরা প্লেনটিকে ফিরিয়ে এনে বিমানবন্দরে নামার চেষ্টা করার সময় এটি রানওয়ের কাছে একটি থামের সঙ্গে বাড়ি খেয়ে কাত হয়ে যায়। এরপর একটি ঘাসে ঢাকা জমি ও গাড়ি চলাচলের পথ পার হয়ে বিমানবন্দরের ডি-আইসিং ব্যবস্থায় আঘাত করে বিধ্বস্ত হয়। এ সময় বিমানটিতে আগুন ধরে যায়। জরুরি সেবা ও জনসুরক্ষা বিভাগের কমিশনার জেমস রোভেলা এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, প্লেনটিতে ১৩ জন যাত্রী ছিলেন। আহত হয়েছেন ছয় যাত্রী। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।তিনি বলেন, নিহতদের পরিচয় এখনও নিশ্চিত করা যায়নি। 
বোমারু প্লেন , যুক্তরাষ্ট্র, বিধ্বস্ত
ষষ্ঠী থেকে দশমী
প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০১৯ | ০১:৫০ | আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০১৯ | ০১:৫৫
মন্দিরে মন্দিরে বাজছে ঢাকঢোল-মাদল। ধূপ-ধুনো আর নাচে-গানে চলছে দেবী মায়ের বন্দনা। মহালয়া থেকে বিসর্জন; প্রতিটি মুহূর্ত রঙিন করে রাখতে চান তারকারা। নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে তারা ফিরে পেতে চান দুর্গাপূজার আনন্দময় মুহূর্ত। পূজার গল্প বলেছেন কয়েকজন তারকা...বাপ্পি চৌধুরীপূজা মানেই নতুন কাপড় পরা। বাবা-মা আমাকে নতুন জামা কিনেই দিতেন। খাওয়া-দাওয়াতেও ছিল নতুনত্ব। বছরের এ দিনটি সবাই অন্যরকমভাবে কাটাতাম। বন্ধুরা মিলে ঘুরতাম। আমি খুব ডানপিটে ছিলাম। তাই বন্ধুদের সঙ্গে দুষ্টমি করতাম।পূজা এলে ছোটবেলার একটি ঘটনা খুব মনে পড়ে। ভয়ংকর সে ঘটনা। পূজা এলে আমি পটকা ফাটাতাম। এ জন্য অনেকেই আমাকে ভয় পেত। একবার পটকা ফোটাতে গিয়ে বিরক্ত হয়েছিলাম। পটকায় আগুন লেগেছিল কিন্তু ফাটছে না।পরে দেখলাম যে পটকায় পানি লেগেছিল। একটু পর পটকাটি ফাটল আর আমি তো লাফ দিয়ে দু’তলায় ওঠে আবার পড়ে গেলাম। যার ফলে আমার পা ফেটে রক্ত ঝরেছিল। এখন পূজা এলে সে স্মৃতি মনে পড়ে। মন চায় এখনও পটকা ফাটাই, হৈ-হুল্লোড় করি। কিন্তু বয়স আর ব্যস্ততার কারণে তা আর হয়ে ওঠে না। ঢাকায় থাকলেও পূজোতে নারায়নগঞ্জ যাই আমি। সেখানেই বেশ ধুমধামে পূজা পালন করি। পরিবারের সবাই থাকে। এবারও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না। বিদ্যা সিনহা মিমযত ব্যস্ততাই থাকুক, সব ছেড়ে ছুড়ে এবার রাজশাহী যাবই যাব- এই ছিল আমার কথা। ভেবেছিলাম, মা-বাবা কিংবা ছোট বোনের কেউ না কেউ আপত্তি তুলবে। কিন্তু না, সবারই দেখি একই রকম ইচ্ছা। আর তা জেনেই আনন্দে ফেটে পড়েছিলাম। শুধু তাই নয়, ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত কী করব- তারও একটা প্ল্যান তৈরি করে ফেলেছি। অবশ্য বেশিরভাগ সময় প্ল্যান যেভাবে করা হয়, সেভাবে কিছু করা হয়ে ওঠে না। যেমন অষ্টমীতে শাড়ি পরে ঘুরে বেড়াব- এটা ঠিক করলেও শেষমেশ কীভাবে নিজেকে সাজাব তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। সালোয়ার-কামিজে অন্যান্য সময় পূজামণ্ডপে গেলেও কোন দিন কোন পোশাক পরব- তা নিয়েই দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়ে যাই। আর উৎসব আনন্দে মেতে ওঠা যেখানে মুখ্য, সেখানে পোশাক আর সাজসজ্জা নিয়ে যত পরিকল্পনাই করা হোক, তা বদলে যেতে সময় লাগে না। আসল কথা হলো, আবার রাজশাহী যাব, প্রিয়জন, আত্মীয়-স্বজন অনেকের সঙ্গে দেখা, হাসি-গান আড্ডা, দুর্গামায়ের কাছে প্রার্থনা ও তার বিসর্জনে ব্যথা- এসব নিয়ে দিনগুলো কাটাব, এই ভাবনায় আনন্দে আছি।পূজা চেরিপূজা এলে অন্যরকম ভালোলাগা কাজ করে। যেন আনন্দে হারিয়ে যায় মন। কখন কী করব, ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত কোন কোন মণ্ডপে ঘুরে বেড়াব; এমন পরিকল্পনার ছক আঁকতে থাকি। জানি পরিকল্পনা অনুযায়ী সব হয় না। তবুও ভাবতে আনন্দ লাগে। পূজার দিনগুলো পরিবারের সঙ্গে কাটানো হয়। পূজায় নতুন জামাকাপড় আমার চাই-ই চাই। এবারও অনেক পোশাক কিনেছি। ঢাকার হাজারীবাগে বেড়ে ওঠা। ধুলোমাখা শৈশবের দিনগুলো ওই মাটিতেই কেটেছে। ছোটবেলায় তাঁতীবাজার, শাঁখারীবাজারসহ পুরান ঢাকার অনেক মন্দিরে বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে ঘুরে ঘুরে পূজার আনন্দ ভাগাভাগি করেছি। এখন সেই সময়গুলো খুব মিস করি। শুটিং ডাবিংয়ের ব্যস্ততা না থাকলে অনেক আনন্দ করব। ঢাকায় ঢাকেশ্বরী ও বনানী পূজামণ্ডপে ঘোরার ইচ্ছা রয়েছে।ঊর্মিলাপূজা আনন্দের বার্তা নিয়ে আসে। গত দু'বছর থেকে আমার পূজার আনন্দে ভাটা পড়েছে। কারণ দু'বছর আগে বাবা মারা গেছেন। এ কারণে পূজা আমার কাছে একদিকে আনন্দ, অন্যদিকে বিষাদের। পূজায় ঢাকায় থাকার ইচ্ছা রয়েছে। বিভিন্ন পূজামণ্ডপে ঘুরব। উৎসবে আলতা-সিঁদুর আর লাল-সাদা শাড়িতে নিজেকে সাজাতে যেমন ভালো লাগে, তেমনি বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে মণ্ডপে মণ্ডপে ঘুরে বেড়াতে ভালো লাগে। মা আমার জন্য একটি শাড়ি এনেছেন কলকাতা থেকে। মায়ের জন্যও উপহার কিনেছি। পূজায় শৈশবের দিনগুলো বেশ মিস করি। আগে রিকশায় ঘুরে ঘুরে প্রতিমা দেখতাম। মণ্ডপে মণ্ডপে প্রসাদ খেতাম। এটা এখন আর হয়ে ওঠে না।পূজা সেনগুপ্তপরিবারের সঙ্গেই পূজার আনন্দ ভাগাভাগি করব। আমার দুটো পরিবার। একটি বাবা-মা, পরিবার-পরিজন ও অন্যটি নাচের দলের সদস্যরা। প্রতি বছরই একটি দিন তুরঙ্গমীর সবাই মিলে আনন্দ করি। বাকি তিন দিন বন্ধুবান্ধব ও আত্মীয়স্বজনের জন্য থাকে। বিশেষ করে পূজায় জগন্নাথ হল সংলগ্ন মেলা বেশ উপভোগ করি। আমার কাছে পূজার সবচেয়ে আকর্ষণীর দিক হলো দুর্গা প্রতিমা। প্রতিমার শৈল্পিক দিক ও প্রতিমার ভেতরকার শক্তির ব্যাপারটি বেশি আকর্ষণ করে। পূজায় দেশীয় শাড়ি পরতে পছন্দ করি। মসলিন, রাজশাহী সিল্ক্ক, জামদানি ও সুতির শাড়ি সাধারণত পরা হয়।
তারকার পূজা, বাপ্পি, মিম, পূজা চেরি, উর্মিলা
নিউজিল্যান্ডে টানা দ্বিতীয় জয় যুবাদের
প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০১৯ | ০১:৫৪ | আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০১৯ | ০৩:৫০
নিউজিল্যান্ড যুবাদের বিপক্ষে দারুণ ক্রিকেট খেলছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচে সহজেই জয় পেয়েছে টাইগার যুবারা। কিউই যুবাদের দেওয়া ২৪৩ রানের লক্ষ্য ৬ উইকেট হাতে রেখে তুলে নিয়েছেন মাহমুদুল হাসান জয়রা। বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমেও ৩.৩ ওভার হাতে রেখে জয়ের প্রান্তে পৌছে যান আকবর আলীরা। সিরিজে এগিয়ে যায় ২-০ ব্যবধানে।টস জিতে ওভালের লিংকনে নিউজিল্যান্ড অনূর্ধ্ব-১৯ দল শুরুতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয়। ভালো শুরু করে তারা। ওপেনিং জুটিতে ৫৫ রান তুলে ফেলে। এরপর ওপেনার ওলি হোয়াইট ৩০ রানে মৃত্যুঞ্জয়ের বলে আউট হন। পরে ১০২ রানে রাকিবুলের ঘূর্ণিতে দ্বিতীয় উইকেট হারায় তারা। একটু বাদেই চারে ব্যাট করতে নামা উইলিয়াম ক্লার্ককে তুলে নেন বাঁ-হাতি পেসার শরিফুল ইসলাম। তবে কিউই যুবা ওপেনার থমাস জোহরাব ১৪২ রানে ১১২ রানের ইনিংস খেলে দলকে এগিয়ে নেন।শেষ দিকে কুইন সানডে ২৯ রান করলে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ওই রান তোলে নিউজিল্যান্ড অনূর্ধ্ব-১৯ দল। জবাব দিতে নেমে বাংলাদেশ ভালো শুরু দিতে পারেনি। দলের ৩১ রানে ওপেনার পারভেজ ইমনের উইকেট হারায় যুবারা। তিনি করতে পারেন মাত্র ৬ রান। এরপর ওপেনার তানজিদ তামিম এবং তিনে নামা মাহমুদুল হাসান দলকে দারুণ ভিত্তি দেন। দলের ১২৬ রানে ৬৩ বলে পাঁচ চার ও দুই ছয়ে ৬৫ রান করেন তানজিদ হাসান তামিম।তবে বড় আক্ষেপ থেকে গেছে মাহমুদুল জয়ের। তিনি ১২৫ বলে ৯৯ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলে আউট হন। চারের মার মারেন দশটি। এর আগে বাংলাদেশ যুবা দলের হয়ে দুটি সেঞ্চুরি আছে জয়ের। এ ম্যাচে সেঞ্চুরি পেলে তিন সেঞ্চুরি নিয়ে আনামুলের পাশে বসতেন তিনি। এছাড়া জয়ের একদম প্রান্তে গিয়ে আউট হন এই টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান। তার আগে ৪০ রানের ইনিংস খেলে আউট হন তৌহিদ হৃদয়। এর আগে বৃষ্টির কারণে নির্ধারিত দিনে ম্যাচটি হয়নি। পুনরায় নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী, স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার ম্যাচটি মাঠে গড়ায়।
খেলা, ক্রিকেট, বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল, বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড
২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি ৩৬১ ডেঙ্গু রোগী
প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০১৯ | ০২:০১ | আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০১৯ | ০৮:৪৯
ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে সারাদেশে আরও ৩৬১ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টার হিসেবে এতথ্য পাওয়া গেছে। খবর ইউএনবির  আক্রান্তদের মধ্যে ১০০ জন ঢাকায় এবং ২৬১ জন দেশের অন্যান্য এলাকায় ভর্তি হয়েছেন বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম।বর্তমানে দেশের হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত ভর্তি রোগী আছেন এক হাজার ৪১৯ জন। এদের মধ্যে ঢাকায় চিকিৎসা নিচ্ছেন ৫০৫ জন এবং অন্যান্য বিভাগে আছেন ৯১৪ জন।ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব এবার এশিয়ার অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। তবে চলতি মাসের শুরু থেকে পরিস্থিতির উন্নতি হওয়া শুরু হয়েছে। দিন দিন কমে আসছে নতুন রোগীর সংখ্যা।সরকারি হিসেব অনুযায়ী, গত জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত দেশে সর্বমোট ভর্তি হওয়া ডেঙ্গু রোগী ৮৯ হাজার ২১ জন। এছাড়া বর্তমানে হাসপাতাল থেকে ৮৭ হাজার ৩৬৬ জন রোগী ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। সারাদেশে ছাড়প্রাপ্ত পাওয়া রোগীর সংখ্যা ৯৮ শতাংশ।রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) এ বছর ডেঙ্গু সন্দেহে ২৩৬টি মৃত্যুর তথ্য পেয়েছে। এর মধ্যে সংস্থাটি এ পর্যন্ত ১৩৬টি ঘটনার পর্যালোচনা সমাপ্ত করে ৮১টি মৃত্যু ডেঙ্গুজনিত বলে নিশ্চিত করেছে।
ডেঙ্গু রোগী, ডেঙ্গুতে হাসপাতালে ভর্তি, ডেঙ্গু
প্রেমিকাকে ফিরে পেতে অনশন!
প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০১৯ | ০২:১৭ | আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০১৯ | ০২:৩৩
দীর্ঘদিন সম্পর্কের পর বিয়ে করতে না চাওয়ায় প্রেমিকের বাড়ির সামনে প্রেমিকার অনশনের ঘটনা প্রায়ই ঘটছে। এবার ১২ বছর সম্পর্কের পর বিয়েতে রাজি না হওয়ায় প্রেমিকার বাড়ির সামনে অনশন শুরু করেছেন এক যুবক। খবর সংবাদ প্রতিদিনের ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনায়। জানা গেছে, জেলার নরেন্দ্রপুরের গড়িয়া নবগ্রামের বাসিন্দা বাবু মণ্ডলের সঙ্গে একই এলাকার তরুণী দেবযানীর ১২ বছর ধরে সম্পর্ক ছিল। কিন্তু তাদের এ সম্পর্ক কোনওদিনই মেনে নেয়নি ওই তরুণীর পরিবার। তারপরও তাদের সম্পর্ক কখনও নষ্ট হয়নি। কিন্তু বেশ কিছু দিন ধরে বাবুকে এড়িয়ে চলতে শুরু করে দেবযানী। একাধিকবার বিষয়টি নিয়ে প্রেমিকার সঙ্গে কথা বলেন বাবু। কিন্তু কোনও ভাবেই পুরনো সম্পর্ক জোড়া লাগাতে রাজি হননি ওই তরুণী। দেবযানী জানিয়ে দেন, পরিবারের অমতে বাবুকে বিয়ে করা তার পক্ষে সম্ভব নয়। এদিকে পরিবারের পছন্দে দেবযানীর বিয়ের খবরও ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়।এ অবস্থায় প্রেমিকাকে ফিরে পেতে বুধবার দেবযানীর বাড়ির সামনে অনশন শুরু করেন বাবু। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে সরিয়ে দিলে বৃহস্পতিবার সকালে আবারও প্রেমিকার বাড়ির সামনে অনশন শুরু করেন বাবু। এবারও পুলিশ তাকে সরিয়ে দেয়। কিন্তু প্রেমিকাকে ফিরে না পাওয়া পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাবেন বলেই জানিয়েছেন বাবু। এ বিষয়ে অবশ্য এখন পর্যন্ত দেবযানী ও তার পরিবারের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। বাবু তার প্রেমিকাকে আদৌ ফিরে পাবে কি-না তা এখন সময়ই জানিয়ে দেবে।
আন্তর্জাতিক, এশিয়া
মানসিক স্বাস্থ্যে উদ্ভাবনী নারী নেতৃত্বের তালিকায় সায়মা ওয়াজেদ
প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০১৯ | ০২:১৯
বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্যে উদ্ভাবনী ১০০ নারী নেতৃত্বের তালিকায় স্থান পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ।সম্প্রতি নিউ ইয়র্কের কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটিভিত্তিক ‘গ্লোবাল মেন্টাল হেলথ প্রোগ্রামস কনসোর্টিয়ামের’ চেয়ার ড. ক্যাথলিন পাইক ‘ফাইভ অন ফ্রাইডে’ শিরোনামে ব্লগে সম্প্রতি এ তালিকা তুলে ধরেছেন। খবর ইউএনবির তালিকায় মানসিক অসুস্থতার বাস্তব অভিজ্ঞতাসম্পন্ন, আইনজীবী, অলাভজনক পদের নেতা, লেখক, শিল্পী, বিজ্ঞানী, শিক্ষাবিদ এবং চিকিৎসকরা অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন।মানসিক স্বাস্থ্যকে গুরুত্ব দিয়ে এবং সামাজিক প্রতিবন্ধকতা দূর করে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদেরকে সমাজের মূল স্রোতে ফিরিয়ে নিতে কাজ করে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী কন্যা সায়মা হোসেন ওয়াজেদ।সায়মা বর্তমানে বাংলাদেশ অটিজম ও নিউরো ডেভেলপমেন্ট ডিসঅর্ডার বিষয়ক জাতীয় উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারপার্সন ও মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউিএইচও) বিশেষজ্ঞ উপদেষ্টা প্যানেলের একজন সদস্য।অটিজম শনাক্তকরণে স্বতঃস্ফূর্তভাবে ক্রমাগত শ্রম এবং আক্রান্তদের দুর্ভোগ হ্রাসে ও সচেতনতা তৈরিতে তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রাখায় সম্প্রতি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার শুভেচ্ছা দূত হিসাবে নিয়োগ পান তিনি।সায়মা নিজের এনজিও সূচনা ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন। এ এনজিওটি মূলত নিউরো ডেভেলপমেন্টাল ডিজঅর্ডার (এনডিডি) এবং মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে অ্যাডভোকেসি, গবেষণা, দক্ষতা বৃদ্ধির কাজে নিয়োজিত অলাভজনক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। পাশাপাশি সেন্টার অর রিসার্স অ্যান্ড ইনফরমেশনের (সিআরআই) অন্যতম ট্রাস্টি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জাতীয়ভাবে অনুমোদিত স্কুল মনোবিজ্ঞানে বিশেষজ্ঞ সায়মা।ফ্লোরিডার ব্যারি ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতক সম্পন্ন করা সায়মা হোসেন একজন নিউরোডেভেলপমেন্ট ডিসঅর্ডারস অ্যান্ড মেন্টাল হেল্থ বিশেষজ্ঞ এবং দক্ষ বক্তা। তার প্রচেষ্টার কারণে আন্তর্জাতিক সচেতনতা তৈরি, নীতি ও কর্মসূচির পরিবর্তন এবং জাতিসংঘ ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় তিনটি আন্তর্জাতিক রেজ্যুলেশন গৃহীত হয়।
সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, আওয়ামী লীগ, শেখ হাসিনা
যেভাবে বিসিবিতে লোকমান
প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০১৯ | ০২:২১
২০১২ সালে বিসিবিতে অ্যাডহক কমিটি গঠন করে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ, যে কমিটির সভাপতি করা হয়েছিল নাজমুল হাসান পাপনকে। মোহামেডান ক্লাবের ডিরেক্টর ইনচার্জ এবং পাপনের বন্ধু হিসেবে অ্যাডহক কমিটিতে জায়গা পান লোকমান। নাজমুল হাসান পাপনের ঘনিষ্ঠ বন্ধু হওয়ায় ২০১৩ ও ২০১৯ সালে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত বিসিবি পরিচালনা পর্ষদের পরিচালক হন তিনি।মোহামেডান ক্লাব ক্যাসিনোর জন্য ভাড়া দেওয়া এবং বাড়িতে বিদেশি মদ রাখায় লোকমানকে মনিপুরের বাসা থেকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। জিজ্ঞাসাবাদের পর র‌্যাব জানায়, ক্যাসিনোর জন্য মোহামেডান ক্লাব ভাড়া দিয়ে যুবলীগ নেতা ও ঢাকা দক্ষিণের কমিশনার মমিনুল হক সাঈদের কাছ থেকে প্রতিদিন ৭০ হাজার টাকা নিতেন তিনি। লোকমান অস্ট্রেলিয়ায় ৪১ কোটি টাকা পাচার করেছেন বলেও জানায় র‌্যাব। এ ছাড়া দেশে তার বিপুল সম্পদের সন্ধান পায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। লোকমান এখনও বিসিবির পরিচালক এবং মোহামেডান ক্লাবের ডিরেক্টর ইনচার্জ।ছাত্রজীবনে ছাত্রদলের রাজনীতিতে যুক্ত ছিলেন লোকমান হোসেন ভূঁইয়া। ১৯৯৩ সালে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হন। ১৯৯৬ সালে বিরোধীদলীয় নেতা থাকাকালে খালেদা জিয়ার বডিগার্ড ছিলেন লোকমান। বিএনপি প্রধানের খুবই আস্থাভাজন ছিলেন তিনি। একই সময় মোসাদ্দেক হোসেন ফালুও ছিলেন খালেদা জিয়ার কাছাকাছি। ফালুর হাত ধরেই মোহামেডান ক্লাবে আসেন লোকমান। এ ক্লাব নিয়েই ফালুর সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয় তার। ক্ষমতার জোরে দ্রুত মোহামেডান ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক হন। একটা সময় মোহামেডান থেকে ফালুকে সরে যেতেও বাধ্য করেন। আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে মেলামেশা করায় ২০০৮ সালে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে বহিস্কার করা হয় তাকে।
খেলা, ক্রিকেট, বাংলাদেশ, লোকমান
রাবিতে উপ-উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন
প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০১৯ | ০২:২৪
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উপ-উপাচার্য অধ্যাপক চোধুরী মোহাম্মদ জাকারিয়ার বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ তুলে তার পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনের সামনে ‘দুর্নীতিবিরোধী শিক্ষকবৃন্দ’ এর ব্যানারে মানববন্ধন শুরু করে অর্ধশত শিক্ষক।তাদের দাবি-বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নিয়োগ বাণিজ্যসহ বিভিন্নখাতে লাগামহীন দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছে। দ্রুত দুর্নীতিবাজ প্রশাসনের পদত্যাগ দাবি করেন তারা।কর্মসূচিতে অংশ নেন গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগি অধ্যাপক ও পিআইবির সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক দুলাল চন্দ্র বিশ্বাস, রাবির পরিবেশ বিজ্ঞান ইন্সটিটিউটের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক সুলতানুল ইসলাম টিপু, ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক আলী রেজা অপু, কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সাবেক প্রশাসক ও বাংলা বিভাগের অধ্যাপক সফিকুন্নবী সামাদী, জনসংযোগ দফতরের সাবেক প্রশাসক অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ইলিয়াছ হোসেন, সাবেক প্রক্টর মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মুজিবুল হক আজাদ খান ও সাবেক ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক মিজানুর রহমান।এ দিকে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সব উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে লাগামহীন দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদস্বরূপ খালি পায়ে শহীদ ড. শামসুজ্জোহা চত্বরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. ফরিদ খান। সকাল সোয়া ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত কর্মসূচি পালন করেন তিনি।তার হাতের প্ল্যাকার্ডে লেখা দেখা যায়- দুর্নীতিমুক্ত শিক্ষাঙ্গন চাই, শিক্ষকের মর্যাদা নিয়ে বাঁচতে চাই। তবে অবস্থান কর্মসূচি নিয়ে কোনো কথা বলেননি অধ্যাপক ড. ফরিদ খান।অপরদিকে ‘দুর্নীতিবিরোধী শিক্ষার্থীবৃন্দ’ ব্যানারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক চোধুরী মোহাম্মদ জাকারিয়ার পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি শুরু করেন তারা। পরে সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনের সামনে শিক্ষকদের কর্মসূচিতে যোগ দেন তারা।কর্মসূচি চলাকালে 'জোহা স্যারের ক্যাম্পাসে চাঁদাবাজি চলবে না', ‘উপরে আল্লাহ নীচে আমি, কত দিতে রাজি তুমি', 'দুর্নীতির বিরুদ্ধে আগুন জ্বালাও একসাথে', 'দুর্নীতিবাজ প্রো-ভিসি পদত্যাগ করো, করতে হবে', ''চাঁদাবাজের বিরুদ্ধে আগুন জ্বালাও একসাথে", 'এসো ভাই এসো বোন গড়ে তুলি আন্দোলন', ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়।উল্লেখ্য, গত বছরের ১৭ নভেম্বর আইন বিভাগের শিক্ষক নিয়োগ করা হয়। ওই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর নুরুল হুদা নামে এক প্রার্থীর স্ত্রীকে উপ-উপাচার্য চৌধুরী মোহাম্মদ জাকারিয়া ফোন করে ‘কত টাকা দিতে রেডি আছে’ তা জানতে চান। ৫৪ সেকেন্ডের ওই অডিও রেকর্ডটি সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। 
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
প্রিয়াঙ্কার লাইফ সাপোর্ট খুলে নেয়া হয়েছে
প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০১৯ | ০২:৩৬ | আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০১৯ | ০৪:২৬
লাইফ সাপোর্ট খুলে নেয়া হয়েছে মডেল ও অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা জামানের। তার শারীরিক অবস্থা কিছুটা উন্নতির দিকে, সবাইকে চিনতে পারছেন, কথা বলছেন এবং স্বাভাবিক খাবারও গ্রহণ করতে পারছেন বলে সমকাল অনলাইনকে জানালেন প্রিয়াঙ্কা জামানের বড় বোন লিজা জামান। এর আগে প্রিয়াঙ্কার শারীরিক অবস্থা ক্রমেই অবনতির দিকে যাচ্ছিল। ফলে লাইফ সাপোর্ট দেয়া হয় তাকে। কারণ তখন শ্বাস নিতে পারছিলেন না। কথাও বলতে পারছিলেন না। কৃত্রিম উপায়ে অক্সিজেন দেওয়া হচ্ছিল তাকে। বৃহস্পতিবার জানানো হলো, প্রিয়াঙ্কা সুস্থ হয়ে উঠছেন। এমন উন্নতি অব্যাহত থাকলে আগামী দু-এক দিনের মধ্যে তাকে কেবিনে স্থানান্তর করা হবে।লিজা জামান বলেন, 'স্রষ্টার কাছে অসংখ্য শুকরিয়া। তিনি আমার বোনের দিকে মুখ তুলে তাকিয়েছেন। আমরা হতাশ হয়ে পড়ছিলাম। যে কোনো সময খারাপ কোনো খবর আসবে এমনটিই ভাবছিলাম। কারণ প্রিয়াঙ্কা আমাদের চিনতে পারছিল না, কথাও বলছিল না। এখন সে আমাদের চিনতে পারছে, কথাও বলছে।'প্রিয়াঙ্কা জামান ২০১৩ সালে বিটিভির চলচ্চিত্রের গান নিয়ে অনুষ্ঠান ‘ছায়াছন্দ’ উপস্থাপনার মধ্য দিয়ে মিডিয়ায় পা রাখেন। এরপর অনেক নাটকে অভিনয় করেন। বিভিন্ন পণ্যের বিজ্ঞাপনচিত্র ও জনপ্রিয় সংগীতশিল্পীদের গানের মিউজিক ভিডিওতে মডেল হয়েছেন। বুলবুল ললিতকলা একাডেমিতে নাচ শেখেন তিনি। বেশ কিছুদিন আগে তার রক্তে মারাত্মক সংক্রমণ দেখা দেয়। গত ২৬ সেপ্টেম্বর তাকে  রাজধানীর ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরিস্থিতির দ্রুত অবনতি হলে তাকে স্কয়ার হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি করা হয়।
প্রিয়াঙ্কা জামান, লাইফ সাপোর্ট, মডেল ও অভিনেত্রী
ডাবল দিয়ে সেঞ্চুরির খাতা খুললেন মায়াঙ্ক
প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০১৯ | ০৩:০৩ | আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০১৯ | ০৩:৩৬
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তিন টেস্টের সিরিজের প্রথম ম্যাচের প্রথম ইনিংসে দুই ওপেনারের ব্যাটে ভর করে পাহাড়সম রান তুলে ফেলেছে ভারত। প্রোটিয়াদের আরও বড় রান চাপায় ফেলতে ব্যাট করছে স্বাগতিকরা। ক্যারিয়ারের ২৮তম টেস্টে ওপেন করতে নেমে দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি তুলে নেন রোহিত শর্মা। এরপর ডাবল সেঞ্চুরির দিকে ছুটতে থাকা রোহিত ১৭৬ রানের আউট হন। দুই রান করতে পারলেই ক্যারিয়ার সেরা টেস্ট ইনিংস খেলে ফেলতেন তিনি।রোহিত না পারলেও তার ওপেনিং সঙ্গী মায়াঙ্ক আগারওয়াল ঠিকই পেরেছেন। ক্যারিয়ারের পঞ্চম টেস্টে এসে প্রথম সেঞ্চুরির দেখা পেলেন এই ওপেনার। প্রথম সেঞ্চুরিটাকেই ডাবল সেঞ্চুরিতে নিয়ে গেলেন ২৮ বছর বয়সী এই ডান হাতি ব্যাটসম্যান। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তিনি ২২ চার ও ছয়টি ছক্কায় ২১০ রান তুলে ব্যাট করছেন।ভারত রোহিতের পরে তার ব্যাটে ভর করে ৪ উইকেট হারিয়ে ৪৩৬ রান করে ব্যাট করছে। মায়াঙ্কের সঙ্গে ক্রিজে আছেন রবিন্দ্র জাদেজা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দারুণ ব্যাটিং করা আজিঙ্কা রাহানে ১৫ রানে আউট হয়েছেন। তিনে নামা চেতেশ্বর পূজারা (৬ রান) এবং তার পরে ব্যাট করতে নামা ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলিও (২০ রান) ক্রিজে দাঁড়াতে পারেননি।মায়াঙ্ক আগারওয়ালের এর আগে টেস্টে সর্বোচ্চ সংগ্রহ ছিল ৭৭ রান। সাত ইনিংস খেলে তিনটি ফিফটি করেন তিনি। এর মধ্যে ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৭৬ রানের ইনিংস খেলেন এই ব্যাটসম্যান। এর আগে রোহিতের সঙ্গে ওপেনিংয়ে ৩১৭ রানের জুটি গড়েন মায়াঙ্ক। ওপেনিংয়ে ভারতের যা তৃতীয় সর্বোচ্চ রানের জুটি। ১৯৫৬ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বিনোদ মানকাড এবং পঙ্কজ রয় ৪১৩ রানের জুটি গড়েন। পাকিস্তানের বিপক্ষে লাহোরে ২০০৬ সালে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪১০ রানের জুটি গড়েন বীরেন্দ্র শেবাগ ও রাহুল দাব্রিড়।
খেলা, ক্রিকেট, ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা টেস্ট, মায়াঙ্ক আগারওয়াল ডাবল সেঞ্চুরি
সাবমেরিন থেকে মিসাইল উৎক্ষেপণ করলো উত্তর কোরিয়া
প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০১৯ | ০৩:২০ | আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০১৯ | ০৪:০৩
সাবমেরিন থেকে একটি ব্যালিস্টিক মিসাইল উৎক্ষেপণ করেছে উত্তর কোরিয়া। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ ইস্যুতে আবারও আলোচনা হতে পারে বলে জানানোর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মিসাইল উৎক্ষেপণ করলো দেশটি। বুধবার উত্তর কোরিয়ার সামরিক কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানানো হয়। খবর বিবিসির। মিসাইলটি একটি পারমাণবিক অস্ত্র বহন করতে সক্ষম। চলতি বছরে এ নিয়ে ১১তম বার মিসাইল উৎক্ষেপণ করলো উত্তর কোরিয়া।  উত্তর কোরিয়ার সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মিসাইলটি ওনসান বন্দরের কাছাকাছি কোনো এক জায়গা থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়। তারপর ভূমি থেকে ৯১০ কিলোমিটার উচ্চতা দিয়ে ৪৫০ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করে মিসাইলটি জাপান সাগরে পতিত হয়েছে।উত্তর কোরিয়া এখন থেকে তার সীমানার বাইরের বহু দূর থেকেও এই ধরনের মিসাইল উৎক্ষেপণ করতে সক্ষম। দক্ষিণ কোরিয়ার সরকারি সংবাদ সংস্থা কেসিএনএ জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণে প্রতিবেশী দেশগুলোর সুরক্ষার ওপর কোনো প্রভাব পড়েনি। 
মিসাইল উৎক্ষেপণ , উত্তর কোরিয়া
আরও রাঘববোয়াল ধরা পড়বে: কাদের
প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০১৯ | ০৩:২৮ | আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০১৯ | ০৯:৪৩
দুর্নীতির বিরুদ্ধে চলমান শুদ্ধি অভিযানে আরও অনেক রাঘববোয়াল ধরা পড়বে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে সমসাময়িক রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান। খবর বাসসের ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সারা বাংলাদেশে অপকর্ম যারা করেছে তাদের তালিকা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আছে। বিগত দিনে যারা গ্রেফতার হয়েছেন তারা কেউ ছোট খাটো অপরাধী নন। অভিযানে আরও অনেক রাঘববোয়াল ধরা পড়বে।’বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের বিষয়ে বিএনপি নেতারা যেভাবে কথা বলছেন, চিকিৎসকরা তেমন কিছু বলছেন না জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, কারাবন্দি খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের বিষয়ে তার দল বিএনপির বক্তব্য ও চিকিৎসকদের বক্তব্য এক নয়। চিকিৎসকদের রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে কোনো কথা বলা হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, 'বিএনপির প্রতি সবসময়ই আমরা নমনীয়। তবে বিএনপি যদি কঠোর অবস্থানে যায়, পরিস্থিতি বুঝে জবাব দেবে আওয়ামী লীগ। দেশের অন্যতম বড় রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি সরকার প্রধানের সঙ্গে দেখা করতে পারেন, তাদের সমস্যা তুলে ধরে সহযোগিতা চাইতে পারেন। এটাই গণতান্ত্রিক চর্চার একটি অংশ।'দুর্নীতি মামলায় কারাবন্দি খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে বিএনপি নেতাদের দাবি-আহ্বানের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, 'খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে বের করার জন্য বিএনপি আন্দোলনের কথা বললেও এখন পর্যন্ত তারা তা করতে পারেনি। আমি চাই তারা আন্দোলন করুক। আমি বলেছি তারা আন্দোলন করে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করুক। এত বড় একটা দল, খালেদা জিয়ার জন্য রাজপথে কোনো আন্দোলন হলো না।'তিনি বলেন, হংকংয়ে গত চার মাস ধরে আন্দোলন হচ্ছে। অথচ খালেদা জিয়ার জন্য এত দিনে এক হাজার লোক একটা মিছিল করলো না। একটা ঝটিকা মিছিলও হলো না। তারাই তো বলেছেন, আন্দোলন করে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করবেন। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলন করতে হবে।আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশকারীদের তালিকা প্রধানমন্ত্রীর কাছে আছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, সারা বাংলাদেশে অপকর্ম যারা করেছে তাদের তালিকা প্রধানমন্ত্রীর কাছে আছে। যার যার এলাকা আছে সেখানে কমিটি গঠনের সময় একটু সতর্ক হতে হবে। যেনো অপকর্মকারীরা আওয়ামী লীগে স্থান না পায়।আওয়ামী লীগকে ঢেলে সাজাতে আগামী নভেম্বরের মধ্যে সাত বছর ধরে মেয়াদ উত্তীর্ণ থাকা যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষক লীগ এবং শ্রমিক লীগের নতুন কমিটি দেওয়ার কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
ওবায়দুল কাদের, আওয়ামী লীগ, অভিযান
'সুইসাইড নোট লিখে' শাবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা
প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০১৯ | ০৩:৩৯ | আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০১৯ | ০৫:৫৬
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবি) এক শিক্ষার্থী 'সুইসাইড নোট লিখে' আত্মহত্যা করেছেন বলে জানা গেছে। তার নাম বকুল দাস (২০)। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের পলিটিক্যাল স্ট্যাডিস (পিএসএস) বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ও শাহ পরান আবাসিক হলের বি ব্লকের ১২০ নম্বর রুমে থাকতেন। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।বকুল হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার সোয়াগাঁও গ্রামের রামু কুমার দাসের ছেলে। শাবি প্রক্টর অধ্যাপক জহীর উদ্দীন আহমদ বলেন, থানা থেকে বলা হয়েছে বকুল বিষ পানে আত্মহত্যা করেছে। ময়নাতদন্ত শেষে বিস্তারিত জানা যাবে।বকুলের এক রুমমেট জানান, বুধবার রাত দেড়টার দিকে বকুল রুমের মধ্যে বমি করতে থাকে। তখন তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাম্বুলেন্সে করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুর আগে বকুল তাদের জানায়, সে বিষ পান করেছে। জালালাবাদ থানা পুলিশ বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে বকুলের বেডের নিচ থেকে এটা সুইসাইড নোট উদ্ধার করে। নোটে লেখা আছে, আমি স্বেচ্ছায় স্বজ্ঞানে বিষ খেয়ে নিজের মৃত্যুকে স্বীকার করে নিচ্ছি। আমার মৃত্যুর জন্য আমার কোনো রুমমেট, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো বন্ধু-বান্ধব কেউ দায়ী নয়। আমি কারো কারণে মনে আঘাত পেয়ে বিষ খাই নাই। আমি নিজের ইচ্ছায় বিষ খেয়েছি। জীবনের প্রতি আমার ধিক্কার চলে আসছে। দুঃখ, কান্না, অবহেলা আমার মস্তিষ্ক আর নিতে পারছিল না। তাই আমি স্বেচ্ছায় মারা গেছি।জালালাবাদ থানার ওসি অখিল উদ্দীন বলেন, এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তদন্ত চলছে, তদন্তের আগে আমরা কোনো মন্তব্য করতে পারছি না।
শাবি, আত্মহত্যা, শিক্ষার্থী
কটিয়াদীতে ৫০০ বছরের পুরনো ঢাকের হাট
প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০১৯ | ০৩:৪২
কটিয়াদীতে এবারও বসেছে দেশের একমাত্র ঢাক-ঢোলের হাট। দুর্গাপূজা উপলক্ষে কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলা সদরের পুরোনো বাজার প্রেসক্লাব ও মুক্তিযোদ্ধা অফিসের সঙ্গে এ হাট বসেছে। প্রতি বছরের মতো এবারও বুধ ও বৃহস্পতিবার দুই দিনব্যাপী ৫শ’ বছরের এই ঐতিহ্যবাহী বিরাট ঢাকের হাট শুরু হয়েছে। জনশ্রুতি আছে, ষোড়শ শতাব্দীর মাঝামাঝিতে স্থানীয় সামন্ত রাজা নবরঙ্গ রায় সর্বপ্রথম তার রাজপ্রাসাদে দুর্গাপূজার আয়োজন করেন। উপজেলা সদর থেকে দুই কিলোমিটার উত্তরে চারিপাড়া গ্রামে ছিল রাজার প্রাসাদ। পূজা উপলক্ষে রাজাপ্রাসাদ থেকে সুদূর বিক্রমপুর (মুন্সিগঞ্জ) পরগণার বিভিন্ন স্থানে বার্তা পাঠানো হতো ঢাক-ঢোল বাঁশিসহ বাদ্যযন্ত্রীদের আগমনের জন্য। সে সময় নৌপথ ব্যবহার করা হতো। বাদ্যযন্ত্রীরা কটিয়াদী-মঠখোলো সড়কের পাশে পুরনো ব্রহ্মপুএ নদের তীরে যাত্রাঘাট নামের স্থানে পূজার দুইদিন আগে এসে পৌঁছাতেন। পরবর্তীতে পার্শ্ববর্তী মসুয়া গ্রামে বিশ্বনন্দিত চলচ্চিত্রকার সত্যজিৎ রায়ের পূর্বপুরুষ হরিকিশোর রায় চৌধুরীর বাড়িতে মহা ধুমধামে পূজা শুরু হয়। সেইসঙ্গে চলে বিভিন্ন পূজার বাদ্যযন্ত্রের প্রতিযোগিতা। দিন দিন পূজার সংখ্যা বৃদ্ধি এবং বিভিন্ন জমিদারদের মধ্যে ঢাকের হাটের স্থান নির্ধারণ নিয়ে দ¦ন্দ্ব শুরু হয়। অবশেষে যাত্রাঘাট থেকে স্থান পরিবর্তিত হয়ে পাঁচ কিলোমিটার দূরবর্তী আড়িয়াল খাঁ নদের তীরবর্তী কটিয়াদী পুরনো বাজারে প্রেসক্লাবের সামনে বিরাট ঢাকের হাট গড়ে উঠে। বৃহওর ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, সিলেট, ঢাকা, ব্রাক্ষ্রণবাড়িয়া, নরসিংদী, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, হবিগঞ্জসহ বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বিপুল সংখ্যক দুর্গাপূজার আয়োজক এই হাট থেকে পূজার দু-একদিন আগে ভাড়ায় বায়না দিয়ে বাদ্যযন্ত্রীদের নিয়ে যেতেন। আজও বিক্রমপুরের ভাটি অঞ্চল, কুমিল্লার হাওর অঞ্চল থেকে শত শত বাদ্যযন্ত্রী এ হাটে আসেন। ঢাক-ঢোল, সানাই, বিভিন্ন ধরনের বাঁশি, কাঁসিসহ হাজার হাজার বাদ্যযন্ত্রের পসরা বসে। নাচসহ বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গিতে বাদ্যযন্ত্রীরা গ্রাহকদের আকৃষ্ট করেন। সাধারণত একটি ঢাক ১০ থেকে ১২ হাজার, ঢোল ৭-৮ হাজার, বাঁশি প্রকারভেদে ৫ থেকে ৭ হাজার, ব্যান্ডপার্টি ছোট ৩০ হাজার থেকে ৫০ হাজার এবং বড় ৬০ হাজার থেকে এক লাখ টাকা পর্যন্ত ভাড়া হয়। বাদ্যযন্ত্রীরা পূজামণ্ডপে বাজনা বাজিয়ে দর্শক ও ভক্তদের আকৃষ্ঠ করেন। বিক্রমপুরের ঢাকী অরবিন্দু পাল বলেন, আমার দাদা-বাবারা এই হাটে আসতেন। আমিও এই ঢাকের হাটে ২০ বছর ধরে আসি। আয়োজকরা আমাদের অনেক সহযোগিতা করেন।নেত্রকোনার সুমন সাহা বলেন, এই হাট থেকে প্রতিবছরই আমরা ঢাকীদের ভাড়ায় পূজার জন্য নিয়ে যাই। আজ তাদের নিতে এসেছি। ঢাকীদের সঙ্গে দরদাম হচ্ছে। দামে মিলে গেলে তাদের নিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হবো।কটিয়াদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু শামা মো. ইকবাল হায়াত বলেন, ঢাকীদের নিরাপত্তাসহ যাবতীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। উপজেলা চেয়ারম্যান ডা. মুশতাকুর রহমান বলেন, ৫শ’ বছরের ঐতিহ্যবাহী ঢাকের হাট কটিয়াদী উপজেলার ঐতিহ্য ধরে রেখেছে। উপজেলা প্রশাসন আগত বাদ্যযন্ত্রীদের প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা দিয়ে থাকে। কিশোরগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য নূর মোহাম্মদ বলেন, ঐতিহ্যবাহী ঢাকের হাটের জন্য কটিয়াদী পুরাতন বাজারে স্থান নির্ধারণ করে শেড নির্মাণের কাজ শেষ হওয়ার পথে। 
কটিয়াদী, ঢাকের হাট
সরকারবিরোধী আন্দোলনের জেরে বাগদাদে কারফিউ জারি
প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০১৯ | ০৪:৩৩ | আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০১৯ | ০৪:৩৪
ইরাকে চলমান সরকারবিরোধী আন্দোলনে পুলিশ সহিংসতার জেরে রাজধানী বাগদাদে কারফিউ জারি করা হয়েছে। সেই সঙ্গে দেশের বহু অঞ্চলে ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে। বাগদাদে মঙ্গলবার থেকে শুরু হওয়া এ আন্দোলনে একজন পুলিশ কর্মকর্তাসহ এ পর্যন্ত ১৩ জন নিহত এবং অনন্ত ৪০০ জন আহত হয়েছেন। খবর এএফপির প্রথমদিকে সরকারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে বিক্ষোভকারীরা রাজপথে নামলেও পরবর্তীতে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে তাদের সংঘর্ষে বিক্ষোভ সহিংসতায় রুপ নেয়। ইরাকের প্রধানমন্ত্রী আদেল আবদেল মেহেদী সহিংসতা রোধে বৃহস্পতিবার বিকাল ৫ টা পর্যন্ত বাগদাদ শহরে কারফিউ জারি করেছেন। সরকারি ওই আদেশে কারফিউ চলাকালীন সময়ে এবং পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত শহরে সব ধরনের যানবাহন এবং ব্যক্তিগত চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। তবে এ বিবৃতিতে বাগদাদ বিমানবন্দর, অ্যাম্বুলেন্স, হাসপাতাল, বিদ্যুৎ, পানি বিভাগের কর্মী এবং ধর্মীয় তীর্থ যাত্রীদের কারফিউয়ের আওতার বাইরে রাখা হয়েছে।সূত্র জানিয়েছে, সকালের পরে বিক্ষোভকারীরা আবারও নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছিল।ওই সময় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা বাগদাদের তাহরির স্কয়ার থেকে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে বাতাসে কয়েক রাউণ্ড গুলি ছোড়ে।উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী আদেল আবদুল মেহেদী এক বছর আগে ক্ষমতা গ্রহণের পর এটাই দেশজুড়ে এটাই সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ। তবে সেটা বিচ্ছিন্নভাবে দেশের নানা প্রান্তে হচ্ছে। সরকারি দুর্নীতি, নিম্ন মানের সেবা এবং উচ্চ হারে বেকারত্বের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করায় ইরাকের আরও তিন শহর নাসিরিয়া, আমারা এবং হিল্লা শহরে এরই মধ্যে কারফিউ জারি রয়েছে। 
আন্তর্জাতিক, এশিয়া
লাদেনের সঙ্গে সাক্ষাৎকারী হুজির শীর্ষ নেতাসহ গ্রেফতার ৩
প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০১৯ | ০৫:১৬ | আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০১৯ | ০৮:৪৯
নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদ বাংলাদেশের (হুজি-বি) শীর্ষ নেতাসহ সংগঠনটির তিন সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বুধবার বিকেলে খিলক্ষেতের নিকুঞ্জ-২ আবাসিক এলাকার বড় মসজিদ সংলগ্ন মাঠে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।তারা হলেন-  মো. আতিকুল্লাহ ওরফে আসাদুল্লাহ ওরফে জুলফিকার (৪৯), মো. বোরহান উদ্দিন রাব্বানী (৪২) ও মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন ওরফে শামীম (৪৩)। পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট জানায়, মো. আতিকুল্লাহ আল-কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেনের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেছিলেন। তিনি সম্প্রতি দেশে ফিরে হুজিকে নতুন করে সংগঠিত করার চেষ্টা করছেন।কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের সহকারী পুলিশ সুপার তৌহিদুল ইসলাম জানান, তাদের বিরুদ্ধে খিলক্ষেত থানায় সন্ত্রাস দমন আইনে একটি মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির করে তাদের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হবে।ঢাকা মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার মাসুদুর রহমান বলেন, পাকিস্তান, দুবাই ও সৌদি আরবসহ বিভিন্ন দেশের জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে আতিকুল্লাহর যোগাযোগ রয়েছে। আফগানিস্তানের যুদ্ধকালে ওসামা বিন লাদেন, মোল্লা ওমর, আয়মান আল জাওয়াহিরির মতো আল-কায়েদা ও তালেবান নেতাদের সঙ্গেও তার একাধিক বৈঠক হয়েছে।আতিকুল্লাহকে জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের কর্মকর্তারা জানান, হরকাতুল জিহাদ বাংলাদেশ গঠনের পর এর শীর্ষ নেতা মুফতি আব্দুল হান্নান ১৯৯৬ সালে একটি কমিটি করেছিলেন। ওই কমিটিতে আতিকুল্লাহ ছিলেন সাংগঠনিক সম্পাদক। পরে তাকে বায়তুল মাল ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের দায়িত্ব দেওয়া হয়। ২০০৬ সালের শুরুর দিকে দুবাই হয়ে সৌদি আরবে গিয়ে আত্মগোপন করেন আতিকুল্লাহ। তিনি একজন বোমা বিশেষজ্ঞ। দীর্ঘদিন বিদেশে থাকার পর এ বছর মার্চে তিনি দেশে ফিরে হুজির পুরনো সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং তাদের আবার সাংগঠনিক কাজে সক্রিয় করেন। নতুন সদস্য সংগ্রহ করে সংগঠনের কার্যক্রম চাঙ্গা করার কাজও শুরু করেন তিনি। এজন্য দেশের বিভিন্ন স্থানে সাংগঠনিক সফর ও দেশি-বিদেশি বিভিন্ন উৎস থেকে অর্থ সংগ্রহের চেষ্টা করতেন আতিকুল্লাহ।তারা আরও জানান, গ্রেফতার নাজিম উদ্দিন শামীম হুজির ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি এবং বোরহান উদ্দিন রাব্বানী ফেনী জেলার দায়িত্বে ছিলেন। কাশ্মীরের উত্তেজনা ও রোহিঙ্গা সঙ্কটকে পুঁজি করে তারা নতুন করে সংগঠিত হওয়ার চেষ্টায় করছিলেন।
হরকাতুল জিহাদ বাংলাদেশ, গ্রেফতার
কলেজছাত্রী লিজার আত্মহত্যার ঘটনায় মামলা, স্বামীসহ আসামি ৩
প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০১৯ | ০৫:২০
রাজশাহীর শাহ্ মখদুম থানার সামনে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দিয়ে কলেজছাত্রী লিজা রহমানের (১৯) আত্মহত্যার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।লিজার বাবা মো. আলম বাদী হয়ে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ এনে নগরীর শাহ মখদুম থানায় বুধবার রাতে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় লিজার স্বামী সাখাওয়াত হোসেনসহ (১৯) তিনজনকে আসামি করা হয়েছে।বৃহস্পতিবার দুপুরে নগরীর শাহ্ মখদুম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদ পারভেজ এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, লিজার বাবা বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন। মামলায় লিজার স্বামী সাখাওয়াত হোসেন, শ্বশুর মাহবুবুল হক খোকন, শাশুড়ি নাজনীন আক্তারসহ অজ্ঞাত আত্মীয় স্বজনকে আসামি করা হয়েছে। মামলায় লিজাকে আত্মহত্যায় প্ররোচিত করার অভিযোগ আনা হয়েছে। মামলাটি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করে দ্রুত অভিযোগপত্র দাখিল করা হবে।গত ২৮ সেপ্টেম্বর নগরীর শাহ্ মখদুম থানায় স্বামী সাখাওয়াত হোসেনের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ করতে যান রাজশাহী সরকারি মহিলা কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী লিজা রহমান। এক পর্যায়ে থানা থেকে বেরিয়ে থানার সামনেই গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তিনি। পরে আশেপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। তবে আগুনে লিজার শ্বাসনালীসহ শরীরের প্রায় ৬৪ শতাংশ পুড়ে যায়। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার তার মৃত্যু হয়।
কলেজছাত্রী লিজা, লিজা রহমান, কলেজছাত্রীর আত্মহত্যা, গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যা, কলেজছাত্রী লিজার আত্মহত্যা
বার্সা জিতলেও খুশি নন ভালভার্দে
প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০১৯ | ০৫:২৩
ক্যাম্প ন্যুতে ম্যাচের শুরুতেই পিছিয়ে পড়ে বার্সেলোনা। লওতারো মার্টিনেজের দুই মিনিটের গোলে লিড নেয় ইতালির জায়ান্ট ইন্টার মিলান। কিন্তু বার্সা দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে ২-১ গোলের জয় তুলে নেয়। চ্যাম্পিয়নস লিগের গ্রুপ পর্বে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে এসে জয়ের দেখা পায় কাতালানরা। তবে দল যেভাবে জিতেছে তাতে খুশি নন বার্সা কোচ এরনেস্তো ভালভার্দে।ম্যাচ শেষে বার্সা কোচ বলেন, 'শুরুতে মার্টিনেজের গোল ম্যাচটাকে তাদের পক্ষে নিয়ে যায়। তাদের সামনে ভালো সুযোগ এনে দেয়। তারা খুবই শক্তিশালী দল। ইতালির লিগে সবগুলো ম্যাচ জিতে পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষে আছে। তারা আমাদের কাজটা খুবই কঠিন করে তুলেছিল। তবে আমরা দ্বিতীয়ার্ধে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায়।'প্রথমার্ধে বার্সা ভালো খেললেও গোল করার খুব বেশি সুযোগ পায়নি। দ্বিতীয়ার্ধে তাদের তাই ঘুরে দাঁড়াতে হতো বলে উল্লেখ করেন বার্সা কোচ ভালভার্দে। তিনি বলেন, 'প্রতিপক্ষের অর্ধে আমাদের আরও বেশি ভয় ধরানো ফুটবল খেলতে হতো। আর ফাইনাল থার্ডে শক্তভাবে রক্ষণ সামলাতে হতো। তারা আমাদের গোল হতে বেশ দূরেই আটকে দিচ্ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আমরা গোল করতে পেরেছি।'অন্যদিকে চেলসির সাবেক কোচ ইন্টারের দায়িত্ব নেওয়ার পর দুর্দান্ত খেলছে তারা। ম্যাচ শেষে তিনি বলেন, 'আমাদের জয় প্রাপ্য ছিল।' ম্যাচের ৬৫ মিনিট পর্যন্ত তারা ভালো খেলেছেন বলে উল্লেখ করেন এই কোচ। তবে বার্সা সমতাসূচক গোলটি করে তাদের কাজটা কঠিন করে তোলে। শেষ পর্যন্ত দুর্দান্ত কিছু ফুটবলার ম্যাচের রঙটা বদলে দিয়েছে বলেও উল্লেখ করেন কান্তে।
খেলা, ফুটবল, চ্যাম্পিয়নস লিগ-২০২০, বার্সা-ইন্টার
শিল্পীদের নির্বাচনে ওপর মহলের চাপ, বললেন মৌসুমী
প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০১৯ | ০৫:২৬ | আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০১৯ | ০৭:১৮
আসন্ন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সভাপতি পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন চিত্রনায়িকা মৌসুমী।বৃহস্পতিবার বিকেলে এফডিসিতে গিয়ে এই নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার ইলিয়াস কাঞ্চনের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন তিনি।মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর সাংবাদিকদের মৌসুমী বলেন, শিল্পী সমিতির নির্বাচনে ওপর মহলের চাপ রয়েছে।তিনি বলেন, 'শিল্পী সমিতি একটি পরিবার। সমিতির শুরু থেকে এমনটাই জেনে এসেছি আমরা সবাই। সেই আবেগ থেকেই বহুবার নির্বাচনে অংশ নিয়ে নির্বাচিতও হয়েছি। কিন্তু এবার নির্বাচন করতে এসে অনেক কিছু দেখছি, যা একজন শিল্পী হিসেবে আমি প্রত্যাশা করিনি। অথচ আমাদের সিনেমার শিল্পীদের নির্বাচন এটি। এখানে আনন্দ হবে, উৎসব হবে। শিল্পীরা হাসতে হাসতে ভোট দিয়ে তাদের নেতা নির্বাচন করবেন। কিন্তু এই নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হচ্ছে নানাভাবে। এখানে অদৃশ্য ওপর মহলকে ব্যবহার করে প্রভাব খাটানো হচ্ছে, যা আমাকে অবাক করেছে, হতাশ করেছে।'প্রিয়দর্শিনীখ্যাত এ নায়িকা আরও বলেন, 'অনেক সদস্য মিলে একটি চমক জাগানিয়া প্যানেল তৈরি করেছিলাম আমরা। কিন্তু আড়ালে থেকে একটি মহল এখানে বাধার দেয়াল তৈরি করেছে। সবাইকে নির্বাচন না করতে প্রভাবিত করেছে। একটা সময় দেখলাম নির্বাচনে আমি একা। আর কেউ নেই আমার পাশে। মজার ব্যাপার হলো– যারা আমাকে সভাপতি পদে নির্বাচন করতে পরামর্শ ও সাহস দিয়েছিলেন তারাও আমার সঙ্গে নির্বাচনে নেই।'মৌসুমী বলেন, 'আমি বুঝতে পারছি না শিল্পী সমিতির নির্বাচনে জিতে কী এমন হবে যে ওপর মহলকে এভাবে কাজে লাগাতে হবে? আমার সঙ্গে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ডি এ তায়েবের নির্বাচন করার কথা। তাকেও নানাভাবে বাধা দেয়া হচ্ছে।'শিল্পী সমিতিতে একটি সুন্দর নেতৃত্ব চান জানিয়ে মৌসুমী বলেন, 'এজন্যই সরে যাইনি। একা একা হলেও নির্বাচনে থাকবো। আমাকে শিল্পীরা সমর্থন দিয়েছেন, এটাই আমার প্রেরণা। শিল্পীদের সমিতিতে বাইরের প্রভাব কাটাতে শিল্পীরা এক হয়ে আমাকে নির্বাচিত করবেন বলে বিশ্বাস করি।'আগামী ২৫ অক্টোবর হবে শিল্পী সমিতির নির্বাচন। বৃহস্পতিবার ছিল প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ দিন। এদিনে ব্যান্ড পার্টি বাজিয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন সভাপতি পদে মৌসুমী ও মিশা সওদাগর, সাধারণ সম্পাদক পদে ইলিয়াস কোবরা, জায়েদ খান ও ডি এ তায়েব। অন্যদের মধ্যে ডিপজল, ইমন, জয় চৌধুরী, জ্যাকি আলমগীর, অঞ্জনা, রোজিনাসহ একঝাঁক শিল্পীও মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
মৌসুমী, আক্ষেপ, শিল্পী সমিতির নির্বাচন
সাইনোসাইটিসের সমস্যা কমাতে যা করণীয়
প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০১৯ | ০৫:৩৪
অনেকেরই সাইনোসাইটিসের সমস্যা আছে।এতে সারাক্ষণ নাক-মাথা ভার ভার লাগা, মাথায় কপালে অস্বস্তি-সহ নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা দেখা দেয় ।  স্যাঁতস্যাঁতে আবহাওয়ার কারণে এ সমস্যা আরও বাড়ে। এ ছাড়া ঘরের স্যাঁতস্যাঁতে গন্ধও এ সমস্যা বাড়িয়ে দেয়।মুখের হাড়ের ভিতরে চার জোড়া ফাঁপা বায়ুপূর্ন যে জায়গাগুলো আছে সেটাকে সাইনাস বলা হয়। কোনও কারণে যদি সাইনাসের ভেতরের ঝিল্লির মধ্যে প্রদাহ  হয় তখন তাকে সাইনোসাইটিস বলে। কয়েকটি উপায় অনুসরণ করলে সাইনাসের সমস্যা থেকে কিছুটা হলেও মুক্তি পাওয়া যায়। যেমন-১.  তিল, ল্যাভেন্ডার, ইউক্যালিপটাস বা যে কোনও মেন্থল  তেল মালিশ করলে আরাম পাওয়া যায়।২. লেবুর রসে  প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে। সাইনাসের সমস্যা দূরে রাখতে নিয়মিত ভিটামিন সি যুক্ত ফলের রস খেতে পারেন।৩. ছোট  একটি পাত্রে পানি গরম করে মাথায় তোয়ালে ঢেকে নিন। অন্তত পনেরো মিনিট টানা গরম পানির ভাপ নিন। এতে সাইনাস প্যাসেজ পরিষ্কার হয়ে যাবে। সেই সঙ্গে অস্বস্তিও কেটে যাবে।৪. নিয়মিত খাদ্য তালিকায় ফল, সবজি, স্যুপ, ডাল রাখুন। সাইনাসের সমস্যায় প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন। এতে সর্দি তরল হয়ে বেরিয়ে যাবে।এ ছাড়াও সাইনোসাইটিসের কারণে নাকে, মাথায় বা কপালে অস্বস্তি হলে গরম পানিতে একটি তোয়ালে ভিজিয়ে ভাল করে নিংড়ে নিন। এর পর তোয়ালেটা মুখের উপর দিয়ে কিছু ক্ষণ শুয়ে থাকুন। এই পদ্ধতিতে সাময়িক ভাবে অনেকটা আরাম পাওয়া যায়। সূত্র : জি নিউজ 
জীবনশৈলী, স্বাস্থ্য
ভৈরবে বাসচাপায় নারীর মৃত্যু
প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০১৯ | ০৫:৪৭ | আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০১৯ | ০৫:৫৬
কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলায় বাসচাপায় আসমা বেগম (৩৬) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে।বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে ভৈরব হাইওয়ে থানার সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।নিহত আসমা বেগম ভৈরবের শম্ভুপুর পূর্বপাড়া এলাকার ইতালি প্রবাসী জাকির হোসেনের স্ত্রী।পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার দিকে আসমা বেগম তার সাত বছর বয়সী মেয়েকে নিয়ে ইজিবাইকে করে যাচ্ছিলেন। ভৈরব হাইওয়ে থানার সামনে ইজিবাইকের ডান পাশ দিয়ে নামার সঙ্গে সঙ্গে কিশোরগঞ্জগামী অনন্যা সুপারের একটি বাস তাকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুখলেছুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, পুলিশ বাসটি আটক করেছে।
নারী নিহত, বাসচাপা, ভৈরব
ব্যান্ড বাজিয়ে মনোনয়ন জমা দিলেন মিশা-জায়েদ
প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০১৯ | ০৬:০৬ | আপডেট: ০৫ অক্টোবর ২০১৯ | ০০:১৮
ব্যান্ড পার্টি নিয়ে শিল্পী সমিতির নির্বাচনে মনোনয়ন পত্র জমা দিলেন মিশা সওদাগর ও জায়েদ খান প্যানেল। বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) বিকেলে এফডিসিতে এসে সমিতির প্রধান নির্বাচন কমিশনার ইলিয়াস কাঞ্চনের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন  মিশা সওদাগর ও জায়েদ খান।  বৃহস্পতিবার ছিলো প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষদিন। এদিনে ব্যান্ড পার্টি বাজিয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার সময মিশা-জায়েদের সঙ্গে ছিলেন ডিপজল, আলেক জেন্ডার বো ইমন, জয় চৌধুরী, জ্যাকি আলমগীর, অঞ্জনা, রোজিনাসহ একঝাঁক শিল্পীরা। এছাড়াও প্রযোজক সমিতির সভাপতি খোরশেদ আলম খসরুও এ সময় তাদের সঙ্গে ছিলেন।মনোনয়ন পত্র জমার দেয়ার আগে ব্যান্ড পার্টি নিয়ে এফডিসিতে শো ডাউন করে মিশা-জায়েদ প্যানেল। এ সময় মিশা সওদাগর বলেন, শিল্পীদের নির্বাচন হবে আনন্দঘন। আমাদের নির্বাচনও শিল্পীসত্তার বহিঃপ্রকাশ থাকবে। তার ধারাবাহিকতায় ব্যান্ড পার্টি নিয়ে মনোনয়ন জমা দিচ্ছি আমরা। আশা করি সকল শিল্পীরা আমাদের প্যানেলের সঙ্গে থাকবে।’  বক্তব্যে এবার বিজয়ী হলে শিল্পীদের উন্নয়নে আরও ভালো কিছু করারও প্রতিশ্রুতি দেন  এ অভিনেতা। আনন্দঘন মুহুর্তে জায়েদ খানন মিশা সওদাগরের কথার সঙ্গে একমত পোষন করে বলেন, ‘আমরা নেতৃত্বে আসার পরই শিল্পী সমিতিতে আনন্দের সমিতি বানানোর চেষ্টা করেছি। তাদের উন্নয়নে যতটা সম্ভব কাজ করেছি। আজ আসন্ন নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন জমা দিতে আসছি আমরা। সবাইকে নিয়েই মনোনয়ন জমা দিচ্ছি। আমাদের মাথার উপর সিনিয়র সব শিল্পীদরে আর্শিবাদ আছে। আমাদের প্যানেলে ডিপজল ও রুবেল ভাই অঞ্জনা এবং রুজিনা  ম্যাডামের মতো তারকা শিল্পীরা আছেন। আশা করি এবারও আমরা জয়ী হবো।’
মিশা-জায়েদ প্যানেল, মনোনয়ন পত্র জমা, শিল্পী সমিতির নির্বাচন
গ্রিজুর সঙ্গে সমস্যা নেই: মেসি
প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০১৯ | ০৬:১৯ | আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০১৯ | ০৬:৩০
'আমাদের খুব একটা কথা হয়না।' মেসিকে নিয়ে অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদ থেকে বার্সেলোনায় যোগ দেওয়া অ্যান্তোনিও গ্রিজম্যান বলেন কথাটা। দলের হয়ে ভালো পারফরম্যান্স করতে হলে তাদের বোঝাপড়া জরুরি বলে উল্লেখ করেন গ্রিজু। তিনি বার্সায় এসেছেন মেসির সতীর্থ হতে। কিন্তু মেসি খুব একটা কথা বলেন না। গ্রিজম্যান নিজেও একটু স্বল্পভাষী। সেজন্য দু'জনের আলাপ-সালাপ কম হয় বলে উল্লেখ করেন ফ্রান্সের হয়ে বিশ্বকাপ জয়ী ফরোয়ার্ড অ্যান্তোনিও গ্রিজম্যান।তার এই কথার জের ধরে গুঞ্জন বেরুতে সময় লাগেনি। তাহলে কি গ্রিজম্যানের সঙ্গে মেসির বনিবনা হচ্ছে না? মেসি কি গ্রিজুকে বার্সায় আপন করে নেননি। চলতি মৌসুমের শুরুতে গ্রিজম্যানকে কেনার জন্য নেইমারকে কিনতে পারেনি বার্সা। কারণ কাতালানদের হাতে খেলোয়াড় কেনার জন্য অর্থ ছিল কম। এটা কি কোন কারণ?এমন যখন গুঞ্জন চলছে তখন মেসি জানিয়ে দিলেন, তাদের কোন সমস্যা নেই। চ্যাম্পিয়নস লিগে ইন্টার মিলানের বিপক্ষে ক্যাম্প ন্যুতে ২-১ গোলের জয় পায় বার্সা। ম্যাচ শেষে বার্সেলোনার সেরা তারকা মেসি বলেন, 'অবশ্যই আমাদের মধ্যে কোন সমস্যা নেই। দলের সবার সঙ্গেই আমাদের ভালো সর্ম্পক। আমরা মিলে-মিশেই আছি।'ইনজুরি কাটিয়ে চলতি মৌসুমে এই প্রথম পুরো সময় খেললেন মেসি। শেষ দিকে তার পাস ধরে গোল করে জয় পায় বার্সা। ঘরের মাঠে পয়েন্ট হারানোর লজ্জা এড়ায়। এ নিয়ে মেসি বলেন, 'আমরা খুবই সতর্ক। আমরা সেরা সময়ে নেই। আমাদের সর্বোচ্চ পর্যায়ের ফুটবল খেলতে হবে। আমরা জানি যে, আমাদের কঠিন সময় যাচ্ছে। তবে ইউরোপের সব বড় ক্লাবেরই খারাপ সময় যায়। তবে আমরা কক্ষপথে ফিরছি।'
খেলা, ফুটবল, মেসি, গ্রিজম্যান
অক্ষয়কে চেনা যায়!
প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০১৯ | ০৬:২২ | আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০১৯ | ০৬:৩০
বলিউডের প্রতিষ্ঠিত অভিনেতাদের মধ্যে অন্যতম হলেন অক্ষয় কুমার। এখন তার অভিনীত ছবি মুক্তি মানেই বক্স অফিস বাজিমাত। একদিকে যেমন ‘মিশন মঙ্গল’ এবং ‘প্যাডম্যানের’ মতো ছবি করছেন, তেমনই হাউসফুলেও তিনি সমান স্বচ্ছন্দ।এই সময়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অক্ষয় এই মুহূর্তে তার পরবর্তী ছবি নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। ছবির নাম ‘লক্ষ্মী বম্ব’। তামিল ছবি ‘কাঞ্চনা’র হিন্দি রিমেক এটি। ছবির পরিচালক রাঘব লরেন্স। ছবিটির প্রযোজনার দায়িত্বে রয়েছেন অক্ষয় কুমার ও সাবিনা খান। বৃহস্পতিবার সেই ছবির ফার্স্ট লুক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করেন অক্ষয় নিজেই।অক্ষয় ছাড়াও এই ছবিতে দেখা যাবে কিয়ারা আদভানিকে। অক্ষয়কে সুতির গোলাপি শাড়ি পরে দেখা যাচ্ছে দেবীর সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে। আগামী বছর ঈদে মুক্তি পাবে ‘লক্ষ্মী বম্ব’ ছবিটি। 
অক্ষয় কুমার, বিনোদন
খালেদা জিয়া কারও অনুকম্পায় মুক্তি চান না: ফখরুল
প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০১৯ | ০৬:২৭ | আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০১৯ | ০৮:৪৮
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কারও অনুকম্পায় মুক্তি চান না জানিয়ে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আইনি লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে খালেদা জিয়া জামিন না পেলে আন্দোলনের মধ্য দিয়ে তাকে মুক্ত করা হবে।খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবিতে বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে তিনি এ কথা বলেন।মির্জা ফখরুল বলেন, খালেদা জিয়ার যে আইনি হক, যে ন্যায্য অধিকার সেভাবেই তিনি মুক্ত হবেন। বেআইনি মিথ্যা মামলা দিয়ে তাকে আটক রাখা যাবে না। জনগণ তাদের প্রিয় নেত্রীকে অবশ্যই আন্দোলনের মাধ্যমে মুক্ত করবে।খালেদা জিয়া আর দেশের গণতন্ত্রকে মুক্ত করতে রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের সঙ্গে বিভিন্ন পেশাজীবীদেরকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে– এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, এই গণবিরোধী সরকার জনগণের অধিকার নিয়ে সব সময় খেলা করেছে। জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। যারা সবসময় গণতন্ত্রের সঙ্গে বেইমানি করেছে তারা খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে আটক রেখেছে। এর একটি মাত্র কারণ, খালেদা জিয়া বাইরে থাকলে তাদের এই দুর্নীতির যে, স্বর্গরাজ্য, লুটপাটের যে স্বর্গরাজ্য, গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে দেওয়া– এটা তারা বাস্তবায়ন করতে পারবে না। দেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার নীল নকশা তারা বাস্তবায়ন করতে পারবে না। সেজন্যই খালেদা জিয়াকে আটক করে রেখেছে।বিএনপি মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রের সব প্রতিষ্ঠানগুলোকে ভেঙে তছনছ করে দিয়ে সংবিধানকে লঙ্ঘন করেছে। জনগণের কাছে আবেদন– এই সমস্যা শুধু বিএনপির নয়, এই সমস্যা শুধু পেশাজীবীদের নয়, এই সমস্যা পুরো দেশের মানুষের। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের মূলমন্ত্র ছিল গণতন্ত্র। এরা সেই গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। আজকে ক্যাসিনো নিয়ে খুব লাফালাফি হচ্ছে। কিন্তু ক্যাসিনোর থেকেও বড় সম্পদ জনগণের ভোটের অধিকার, গণতান্ত্রিক অধিকার এই সরকার লুট করেছে। সেই লুট করা জিনিস ফিরিয়ে আনতে আবারও সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর নিয়ে তিনি বলেন, ভারতের সঙ্গে নাকি এই সরকারের সুউচ্চ সম্পর্ক। প্রধানমন্ত্রী যতবার ভারত যান ততবার হতাশ হই। আসার পর দেখি দেশের মূল সমস্যাগুলোর কোনো সমাধান হয় না।আয়োজক সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শওকত মাহমুদের সভাপতিত্বে ও সদস্য অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেনের পরিচালনায় কর্মসূচিতে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন-বিএফইউজে (একাংশ) সভাপতি রুহুল আমিন গাজী, মহাসচিব এম আবদুল্লাহ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন-ডিইউজে (একাংশ) সভাপতি কাদের গনি চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, শিক্ষাবিদ অধ্যাপক শামসুল আলম, চিকিৎসক অধ্যাপক মোস্তাক রহিম স্বপন, প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলাম রিজু, কৃষিবিদ অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান, শামীমুর রহমান শামীম, শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের জাকির হোসেন, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের রফিকুল ইসলাম, নার্সেস অ্যাসোসিয়েশনের জাহানারা বেগম প্রমুখ বক্তব্য দেন।
খালেদা জিয়ার জামিন, খালেদা জিয়ার মুক্তি, মির্জা ফখরুল, বিএনপি
দুর্ঘটনায় উত্তরবঙ্গ মেইল, নিহত ১
প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০১৯ | ০৬:৩২ | আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০১৯ | ০৯:৩৩
রংপুরের কাউনিয়ায় রেলওয়ে জংশনে ট্রেনের ইঞ্জিন পরিবর্তনের সময় বগিতে গিয়ে সজোরে ধাক্কা লাগে। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন বগিতে থাকা যুবক আপেল মাহমুদ। আহত হন অন্তত ৪০ জন। বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সান্তাহার থেকে ছেড়ে আসা পঞ্চগড়গামী উত্তরবঙ্গ মেইল ট্রেনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত আপেল মাহমুদ ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রুহিয়া গ্রামের আমিনুল ইসলামের ছেলে।ফায়ার সার্ভিস, রেলওয়ে ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সান্তাহার থেকে পঞ্চগড়গামী উত্তরবঙ্গ মেইল ট্রেনের ইঞ্জিন ঘোরানোর সময় ইঞ্জিনটি বগিকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে কয়েকটি বগি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। বগি ও ইঞ্জিন দুটিই ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ সময় প্রচণ্ড ধাক্কায় বগির ভেতরে থাকা যুবক আপেল মাহমুদ ঘটনাস্থলেই নিহত হন। আহত হন অন্তত ৪০ জন। পরে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিসের ৬টি ইউনিট ও রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ দ্রুত আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠায়। তারা কাউনিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাদের মধ্যে সাতজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহতদের মধ্যে রয়েছেন জোলেখা (৫০), আসিয়া (৫৫), রফিকুল (৪৮), মানিক (৪০), মিজান (৪২), রাহেনা বেগম (৩২), ভবেশ (৪০), রশিদ (৫২), ঊষা (৪০), আনসার আলী (৬০), আপন (২০), আবিয়া (৪০), সানিয়া (১১) ও মোনালিসা (৪৩)। রংপুর ফায়ার সার্ভিসের জ্যেষ্ঠ স্টেশন কর্মকর্তা খুরশীদ আলম বলেন, ইঞ্জিন ঘোরানোর সময় বগিতে ধাক্কা দিলে সেখানে থাকা যুবক আপেল নিহত হন। আমরা আহতদের উদ্ধার করে আ্যাম্বুলেন্সে হাসপাতালে পাঠাই।ঘটনা তদন্তে লালমনিরহাট রেলওয়ে কার্যালয়ের বিভাগীয় প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেনকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের এবং রাজশাহী পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের চিফ কমার্শিয়াল ম্যানেজার শাহনেওয়াজকে প্রধান করে চার সদস্যের দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাদের প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। লালমনিরহাট বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক শফিকুর রহমান বলেন, ইঞ্জিন কোচকে আঘাত করার কারণে কোচ ও ইঞ্জিন দুটিই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইঞ্জিনটি ফায়ারম্যান নাকি লোকোমাস্টার চালাচ্ছিলেন, তাও তদন্ত করা হচ্ছে। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।এ ব্যাপারে লালমনিরহাট বিভাগীয় রেলওয়ের চিফ ট্রেন কন্ট্রোলার (ভারপ্রাপ্ত) ফারুখুল ইসলাম মানিক জানান, ট্রেনের ইঞ্জিনে ত্রুটি, না-কি অন্য কোনো কারণে এ দুর্ঘটনা- তা তদন্তের মাধ্যমে জানা যাবে। এ রুটে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।কাউনিয়া থানার ওসি আজিজুল ইসলাম বলেন, তারা ঘটনাস্থল থেকে একজনের লাশ উদ্ধার করেছেন। আহত ১৩ জনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। দুর্ঘটনায় ট্রেন চলাচলে কোনো বিঘ্ন ঘটেনি। লাইনচ্যুত বগি দুটি লাইন ওঠানোর কাজ চলছে।
ট্রেন দুর্ঘটনা, কাউনিয়া
দক্ষিণ এশিয়ায় বিনিয়োগের সর্বোত্তম পরিবেশ বাংলাদেশে: প্রধানমন্ত্রী
প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০১৯ | ০৬:৫০
দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য সর্বোত্তম পরিবেশ বিরাজ করছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বের বিনিয়োগকারী, বিশেষ করে ভারতীয় বিনিয়োগকারীদের প্রতি এদেশের শিক্ষা, অটোমোটিভ শিল্প ও হালকা প্রকৌশল শিল্পে বিনিয়োগ করার আহ্বান জানিয়েছেন।নয়াদিল্লীর হোটেল তাজ প্যালেসে বৃহস্পতিবার ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরামের ইন্ডিয়া ইকোনোমিক সামিটে বাংলাদেশের ওপর কৌশলগত আলোচনাকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান। খবর বাসসেরপ্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এটা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিনিয়োগকারী, বিশেষ করে ভারতীয় বিনিয়োগকারীদের জন্য বাংলাদেশের শিক্ষা, হালকা প্রকৌশল শিল্প, ইলেক্ট্রনিক্স শিল্প, অটোমোটিভ শিল্প, কৃত্তিম বৃদ্ধিমত্তা শিল্পের মতো ক্ষেত্রগুলোতে বিনিয়োগ করার সময়।’তিনি বলেন, ‘আজ দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি স্বাধীন ও উদার বিনিয়োগের পরিবেশ বিরাজ করছে। বিনিয়াগ বান্ধব বাংলাদেশে বৈদেশিক বিনিয়োগকারীরদের জন্য আইনী সুরক্ষা, উদার রাজস্ব ব্যবস্থা, মেশিনপত্র আমদানীর ক্ষেত্রে বিশেষ ছাড়, আনরেস্ট্রিকটেড এক্সিট পলিসি, সম্পূর্ণ বিনিয়োগ ও পুঁজি নিয়ে চলে যাবার সুবিধাসহ নানাবিধ সুবিধা রয়েছে।’শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে নিরবিচ্ছিন্ন সুবিধা ও সেবা নিশ্চিত করে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন করেছি। এদের মধ্যে ১২টি অঞ্চল ইতোমধ্যেই কাজ শুরু করে দিয়েছে। দুটি অঞ্চলকে ভারতের বিনিয়োগকারীদের জন্য সংরক্ষিত রাখা হয়েছে। প্রযুক্তি ও উদ্ভাবণী প্রতিষ্ঠানের জন্য বেশ কয়েকটি হাই-টেক পার্ক প্রস্তুত করা হয়েছে।’প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশর এই ব্যাপক উন্নয়নের জন্য সামাজিক মূল্যবোধ ও বাংলাদেশের মানুষের আস্থার প্রশংসা করে বলেন, অনেকেই বাংলাদেশকে ৩ কোটি মধ্য ও উচ্চবিত্ত মানুষের একটি বাজার’ ও ‘অলৌকিক উন্নয়নের’ হিসেব দেখে থাকেন।তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, আমাদের প্রধান শক্তি হচ্ছে সামাজিক মূল্যবোধ ও বাংলাদেশের প্রতি মানুষের আস্থা। সাম্যতা, সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে চলার আকাঙ্ক্ষার পাশাপাশি আমাদের নেতৃত্বের প্রতি তাদের আস্থা।’৪০টি দেশের ৮শ’ প্রতিনিধি দুই দিনের এই সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন। শুক্রবার এই সম্মেলন শেষ হবে। সমাপনী অধিবেশনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বক্তব্য দেবেন।
প্রধানমন্ত্রী, শেখ হাসিনা, ইন্ডিয়া ইকোনমিক সামিট, ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম, বিনিয়োগের পরিবেশ, বাংলাদেশে বিনিয়োগ
টেকনাফে রোহিঙ্গা কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ
প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০১৯ | ০৭:৩০ | আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০১৯ | ০৭:৪৯
কক্সবাজারের টেকনাফে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এক কিশোরী ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভুক্তভোগীর পরিবার অভিযোগ, এ ঘটনায় স্থানীয় লোকজন জড়িত।ওই কিশোরী টেকনাফের লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সি-২২ এর বাসিন্দা। গত ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মিয়ানমারে সেনাদের অভিযানের মুখে পরিবারের সঙ্গে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে সে। গত মঙ্গলবার দুপুরে হ্নীলা ইউনিয়নের রঙ্গিখালী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।র‌্যাব-১৫ টেকনাফ ক্যাম্পের ইনচার্জ লে. মির্জা শাহেদ মাহাতাব বলেন, এক রোহিঙ্গা কিশোরী ধর্ষণের শিকার হওয়ার অভিযোগ শুনে গুরুত্ব সহকারে তদন্তে নেমেছে র‌্যাব।ধর্ষণের ঘটনায় স্থানীয় লোকজন জড়িত বলে অভিযোগ করে কিশোরীর বোন বলেন, স্থানীয় শাহ জান নামে এক ব্যাক্তি ভিক্ষা দেওয়া নামে ঘরে ঢুকিয়ে মুখ চেপে ধরে তার বোনকে ধর্ষণ করেছে। ওর বয়স দশ বছর। তিনি বলেন, ঘটনার পর ভুক্তভোগী কিশোরীকে এনজিওর লোকজন প্রথমে লেদা শরণার্থী শিবিরের চিকিৎসাকেন্দ্রে নিয়ে যায়। চিকিৎসক সেখানে ধর্ষণ প্রমাণ পেয়েছেন। সে বর্তমানে বাড়িতে, কিন্তু তার আরও চিকিৎসার প্রয়োজন।টেকনাফের লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সি-২২ এর মাঝি আজিম উল্লাহ বলেন, তার ক্যাম্পের এক কিশোরী ভিক্ষা চাইতে রঙ্গিখালি এলাকায় যায়। পরে সেখানকার এক যুবক কিশোরীকে চাল দেওয়ার নামে ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করে বলে ভুক্তভোগী পরিবার জানিয়েছেন। এ ঘটনার সর্ম্পকে স্থানীয় প্রশাসনকে অবহিত করেছি।টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা রকিবুল ইসলাম খান বলেন, রোহিঙ্গা কিশোরী ধর্ষণের খবর এই মাত্র শুনেছি। পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  
টেকনাফ, রোহিঙ্গা, ধর্ষণ
দুর্গাপূজায় সহিংসতার আশঙ্কা নেই: ডিএমপি কমিশনার
প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০১৯ | ০৭:৩১ | আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০১৯ | ০৮:৪৮
দুর্গাপূজায় কোনো ধরনের সহিংসতার আশঙ্কা নেই বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম।বৃহস্পতিবার রাজধানীর ঢাকেশ্বরী মন্দিরের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।ডিএমপি কমিশনার বলেন, পূজাকে কেন্দ্র করে কোনো ধরনের সহিংস হামলার তথ্য নেই। পূজার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যাপক প্রস্ততি নেওয়া হয়েছে।এবার রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ২৩৩টি পূজামণ্ডপে পূজার আয়োজন চলছে। এরমধ্যে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির, রামকৃষ্ণ, বনানী ও কলাবাগানের দুর্গাপূজাকে 'বিশেষ' শ্রেণিভুক্ত করেছে ডিএমপি। এই পূজামণ্ডপগুলোতে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন থাকবে। এ ছাড়া সিদ্ধেশ্বরী কালীবাড়ি, রমনা কালীবাড়ি, বসুন্ধরা সার্বজনীন দুর্গাপূজা, উত্তরা ও কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটেরর পূজাকে 'বৃহত্তম' শ্রেণিত রাখা হয়েছে। এর বাইরে দুই তারকা চিহ্নিত ৮৬টি, ৭৭টি এক তারকা এবং ৬১টি মণ্ডপকে সাধারণ ক্যাটাগরিতে রাখা হয়েছে। তবে সব মণ্ডপ ঘিরেই আইন-শৃঙ্খলা রক্ষকারী বাহিনী ব্যাপক নিরাপত্তা প্রস্ততি নিয়েছে।ডিএমপি কমিশনার বলেন, প্রত্যেকটি মন্দির সিসি ক্যামেরায় মনিটর করা হবে। আর্চওয়ের ভেতর দিয়ে প্রত্যেককে প্রবেশ করতে হবে মণ্ডপে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি আয়োজক কমিটির আর্মডব্যাচ অথবা বিশেষ পোশাক পরিহিত আলাদা স্বেচ্ছাসেবক দল নিয়োজিত থাকবে। যেসব পূজামণ্ডপে ভিভিআইপিরা যাবেন, সেগুলো এখন থেকেই নজরদারিতে রয়েছে।সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, সম্প্রতি ঢাকা মহানগরে পুলিশের ওপর হামলা ও পুলিশ বক্সের পাশে বোমা রেখে যাওয়ার ঘটনার সবক'টিতে জড়িতদের শনাক্ত হয়েছে। জড়িতদের গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিরা নজরদারিতে রয়েছে।সম্প্রতি ডিএমপির আট থানার ওসি বদলের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটি একটি রুটিন ওয়ার্ক। যাদের দায়িত্ব দিলে মানুষ আরও ভালো সেবা পাবে সেভাবেই রদবদল করা হয়েছে।
ডিএমপি কমিশনার, দুর্গাপূজায় নিরাপত্তা, সহিংসতার আশঙ্কা, পূজায় নিরাপত্তা, পূজামণ্ডপে নিরাপত্তা
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি হতে না পেরে...
প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০১৯ | ০৭:৪৭ | আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০১৯ | ০৭:৫১
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হতে না পেরে বিদ্যালয়ের যাতায়াতের রাস্তায় বেড়া ও কাঁটা বিছিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এতে করে ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বিকল্প পথে বিদ্যালয়ে যাতায়াত করতে বাধ্য হচ্ছে।ঘটনাটি ঘটেছে, জেলার তাড়াশ উপজেলার সগুনা ইউনিয়নের কুশাবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। স্থানীয়রা জানায়, সম্প্রতি কুশাবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির নির্বাচনে ওই গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক ও একই গ্রামের খাইরুল ইসলাম সভাপতি পদে প্রার্থী হন। এতে রাজ্জাক ৪ ভোট ও  মো. খায়রুল ইসলাম পান ৫ ভোট। মাত্র ১ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন আব্দুর রাজ্জাক। এতে ক্ষোভে আব্দুর রাজ্জাক বিদ্যালয়ে যাতায়াতের পথে বেড়া দিয়ে কাঁটা বিছিয়ে দেন। ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মাহাতাব হোসেন বলেন, কুশাবাড়ী বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হতে না পেরে আব্দুর রাজ্জাক ক্ষোভে শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের রাস্তায় বেড়া দিয়েছেন। ফলে শিশুরা বিদ্যালয়ে আসতে পারছে না। নৌকা নিয়ে ঘুরে বিদ্যালয়ে আসতে শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বিষয়টি বিভিন্ন দফতরে জানানো হয়েছে।অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আকতারুজ্জামান বলেন, সম্ভবত বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের রাস্তা থেকে ওই বেড়া ও বিছানো কাঁটা তুলে নেওয়া হয়েছে। এ প্রসঙ্গে তাড়াশ থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে থানার এসআই তৈয়ব আলী ঘটনাস্থলে পাঠিয়ে ওই বেড়া তুলে দেওয়া হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত আব্দুর রাজ্জাক গা ঢাকা দিয়েছেন। 
সিরাজগঞ্জ, পথে কাঁটা বিছানো
ভালুকায় নিজ ঘরে ব্যবসায়ীর হাত-পা বাঁধা লাশ উদ্ধার
প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০১৯ | ০৭:৪৯
ভালুকা উপজেলার পশ্চিম ঝালপাজা গ্রামের নুন্দিপাড়ার নিজ ঘর থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় মহসিন শেখ (৫২) নামের এক কাপড় ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার দুপুরে লাশটি উদ্ধার করা হয়। নিহত মহসিন শেখ নুন্দিপাড়ার মৃত আইয়ুব আলী শেখের ছেলে।স্থানীয়রা জানায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে মহসিনের গোয়ালঘরে গরু ডাকতে থাকায় প্রতিবেশীরা ওই বাড়িতে যায়। এ সময় বাড়িতে কোনো লোকজন না পেলেও ঘরের খোলা দরজা পায় তারা। এরপর এগিয়ে গিয়ে দেখে খাটের উপরে হাত-পা বাঁধা ও গলায় রুমাল পেঁচানো অবস্থায় মহসিনের লাশ পড়ে আছে। দ্রুত তারা থানায় খবর দিলে পুলিশ দুপুরে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে। নিহতের ছোট ভাই উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রমজান আলী শেখ বলেন, ছেলে-মেয়েদের পড়াশুনার জন্য ভাবী তাদের দুই সন্তান নিয়ে ময়মনসিংহে বাসা ভাড়া করে থাকেন। রাতের কোনো এক সময় এ হত্যাকাণ্ডটি ঘটানো হয়েছে।ভালুকা মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ মাইন উদ্দিন জানান, মহসিন শেখকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে। লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ হত্যার রহস্য উৎঘাটনের চেষ্টা ও মামলার প্রস্তুতি চলছে।
লাশ উদ্ধার, ভালুকা
খালেদা জিয়ার প্যারোলে মুক্তি চান না তার আইনজীবীরা
প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০১৯ | ০৭:৫০ | আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০১৯ | ০৮:৪৮
দুর্নীতির মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সরকারের অনুকম্পায় প্যারোলে মুক্তি চান না বলে জানিয়েছেন তার অন্যতম আইনজীবী জয়নুল আবেদিন।তিনি বলেন, খালেদা জিয়া এদেশের একজন নাগরিক। জামিন পাওয়া তার অধিকার রয়েছে, তিনি জামিনের হকদার। আদালতের জামিনেই মুক্তি চান।বৃহস্পতিবার সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনের তিন তলায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদিন বলেন, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রাজনৈতিকভাবে মোট ৩৭টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে এই ৩৭টি মামলার মধ্যে দুটি মামলায় (জিয়া অরফানেজ ও চ্যারিটেবল ট্রাস্ট্র) জামিন পেলেই তার কারামুক্তি মিলবে।তিনি দাবি করেন, যে দুই মামলায় খালেদা জিয়া কারাবন্দি আছেন, সে মামলায় তিনি নির্দোষ। সরকার খালেদা জিয়াকে জনগণ থেকে বিছিন্ন করতে কারাবন্দি করে রেখেছে। কারাগারে খালেদা জিয়া দিন দিন অসুস্থ হয়ে পড়ছে।সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি বলেন, বর্তমানে সুপ্রিমকোর্ট অবকাশ চলছে। আগামী ১৩ অক্টোবর অবকাশের পর জামিনের জন্য আবেদন দাখিল করা হবে এবং জামিন পাবেন বলে আশা করেন সিনিয়র এই আইনজীবী।সংবাদ সম্মেলনে অ্যাডভোকেট রফিকুল হক তালুকদার রাজা, কামরুল ইসলাম সজল, ব্যারিস্টার একেএম এহসানুর রহমান, এ আর রায়হানসহ অন্যান্য আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে জয়নুল আবেদিন বলেন, 'যখনই আমরা খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন নিয়ে আদালতে গিয়েছি, তখনই রাষ্ট্রপক্ষ জামিন নিয়ে জোরালো আপত্তি জানিয়েছে। আমরা অ্যাটর্নি জেনারেলের কাছে আহ্বান জানাবো আগামী দিনে যেন তারা খালেদা জিয়ার জামিন শুনানিতে আপত্তি না জানান।'
খালেদা জিয়া, খালেদা জিয়ার জামিন, খালেদা জিয়ার মুক্তি
‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী অভিযান অব্যাহত থাকবে’
প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০১৯ | ০৮:০২
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী চলমান অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ। বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থা আয়োজিত 'আন্তঃস্কুল দাবা প্রতিযোগিতার' পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন তিনি।র‌্যাব মহাপরিচালক বলেন, প্রধানমন্ত্রী যে লক্ষ্য স্থির করেছেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীবাহিনী এবং গোয়েন্দা সংস্থার দায়িত্ব হচ্ছে তার সেই নির্দেশনা বাস্তবায়ন করা। আমরা অবশ্যই সেটা অব্যাহত রাখব।দুর্নীতির বিরুদ্ধে চলমান অভিযান চট্টগ্রামেও চলবে কি না এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকা একটা বিষয় আর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া আরেকটা বিষয়। তবে প্রধানমন্ত্রী যে নির্দেশনা দিয়েছেন, সেটা বাস্তবায়নে আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। সেই নির্দেশনা অনুসারে আমরা দায়িত্ব পালন করে যাব।চট্টগ্রাম নগরের ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশনের সভাপতি হিসেবে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন র‌্যাব মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ। অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, নগর পুলিশ কমিশনার মাহাবুবর রহমান, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক ও চট্টগ্রামের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক ইয়াসমিন পারভীন তিবরিজিসহ জেলা ক্রীড়া সংস্থার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন, র‌্যাব মহাপরিচালক, র‌্যাব, বেনজীর আহমেদ
পটিয়ায় স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে যুবক গ্রেফতার
প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০১৯ | ০৮:১১
চট্টগ্রামের পটিয়ায় অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রী (১৫) ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত লোকমান হাকিমকে (৩০) পুলিশে দিয়েছে এলাকাবাসী। লোকমান উপজেলার কোলাগাঁও ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের মুন্সি মির্জা বাড়ির মৃত মো. মুছার ছেলে ও ওয়েস্টার্ন মেরিন নামের একটি শিল্প প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক। ধর্ষণের ঘটনায় বৃহস্পতিবার ওই ছাত্রীর পিতা বাদী হয়ে পটিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার হাবিলাসদ্বীপ ইউনিয়নের অষ্টম শ্রেণির ওই ছাত্রী বুধবার সকালে এক বান্ধবীর বাড়িতে স্কুলব্যাগ রেখে পাঁচুরিয়া বাজারে কেনাকাটা করতে যায়। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে স্কুলব্যাগটি আনার জন্য  আবারও বান্ধবীর বাড়িতে যায় সে। সেখানে তার বান্ধবীর বড় বোন জানান, তার  ভাই নুরুল হাকিম ব্যাগটি ওই ছাত্রীর বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার জন্য নিয়ে গেছে। এরপর ওই স্কুলছাত্রী বাড়ির উদ্দেশ্যে সেখান থেকে বেরিয়ে যায়। বাড়ির কাছাকাছি পৌঁছলে নুরুল হাকিম সাইকেলযোগে গিয়ে জানায় যে, স্কুলব্যাগটি তার কাছে আছে। এরপর ব্যাগ দেওয়া কথা বলে তাকে কোলাগাঁও ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের শীল পাড়া এলাকার সেন বাড়ির পুকুর পাড়ে জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। এসময় ছাত্রীটির চিৎকার শুনে স্থানীয়রা এগিয়ে গিয়ে লোকমানকে আটকে পুলিশে দেয়।পটিয়া থানার ওসি বোরহান উদ্দিন জানান, এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। অভিযুক্ত লোকমান হাকিমকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।এদিকে লোকমান হাকিম অভিযোগ করে বলেন, আমি ধর্ষণ করিনি। যারা আমাকে ধরে পুলিশে দিয়েছে তারাই ধর্ষণ করেছে। আমি গরীব ও অসহায় বলে আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে।
ধর্ষণ, গ্রেফতার, পটিয়া
ভালুকার 'বন্দুকযুদ্ধে ডাকাত' নিহত
প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০১৯ | ০৮:১৪
ময়মনসিংহের ভালুকায় পুলিশের সঙ্গে 'বন্দুকযুদ্ধে' সাদ্দাম (৩০) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। বুধবার মধ্যরাতে উপজেলার মল্লিকবাড়ী ব্রিজ এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটেছে। নিহত সাদ্দাম গফরগাঁও উপজেলার শিবগঞ্জ এলাকার ফজলুল হকের ছেলে। তার নামে ডাকাতিসহ চারটি মামলা রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।ভালুকা মডেল থানার ওসি মো. মাইন উদ্দিন জানান, ভালুকার মল্লিকবাড়ী এলাকায় একদল ডাকাত ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে- এমন খবরে রাত দেড়টার দিকে সেখানে অভিযানে যায় পুলিশ। এ সময় ডাকাতেরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে গুলি চালায়। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালালে সাদ্দামের সহযোগীরা পালিয়ে যায়। এ সময় দেশিয় অস্ত্রশস্ত্রসহ গুলিবিদ্ধ অবস্থায় সাদ্দামকে আটক করে পুলিশ। পরে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। সাদ্দামের নামে ডাকাতিসহ চারটি মামলা রয়েছে।
বন্দুকযুদ্ধ, ভালুকা
নদীতে ফেলা হলো ৭৫০ মণ ভেজাল গুড়
প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০১৯ | ০৮:১৫ | আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০১৯ | ০৮:১৮
রাজশাহীর বাঘায় কেমিক্যাল মিশ্রিত ও নোংরা পরিবেশে গুড় তৈরির জন্য চারটি কারখানাকে এক লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ সময় ৭৫০ মণ ভেজাল গুড় জব্দ করা হয়।বৃহস্পতিবার উপজেলার আড়ানী পৌর এলাকার সাহাপুর, বেড়েরবাড়ি ও দিয়াড়পাড়া এলাকার বিভিন্ন কারখানায় এই অভিযান চালানো হয়।অভিযানে আড়ানী পৌর এলাকার দিয়াড়পাড়া গ্রামের রাজন ও তার ভাই সুজনকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। অনাদায়ে তাদের দুইজনের ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদের দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এছাড়াও সাহাপুর গ্রামের জাহিদ হোসেনের ১০ হাজার, বেড়ের বাড়ি গ্রামের মন্টুর কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা আদায় করা হয়েছে।র‌্যাব জানায়, রাজশাহী র‌্যাব-৫ এর এএসপি সজল কুমার ও এএসপি এসএম জামিল শেখের নেতৃত্বে বিকেল পর্যন্ত অভিযান চালানো হয়। এ সময় ৪৮টি ভ্যান আটক করে কেমিক্যাল মিশ্রিত সাড়ে ৭শ’মণ গুড় জব্দ করা হয়। পরে ভ্র্যাম্যমাণ আদালতের বিচারক আরাফাত আমিন আজিজের উপস্থিতিতে জব্দ করা গুড়গুলো বড়াল নদীতে ফেলে ধ্বংস করা হয়েছে। একই সঙ্গে গুড়ে মিশ্রিত ৫০ কেজি ওজনের কয়েক ব্যাগ চিনি নদীতে ফেলে দেওয়া হয়।বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাজশাহী র‌্যাব-৫ এর এএসপি এসএম জামিল শেখ।
গুঁড়, ভ্রাম্যমাণ আদালত, রাজশাহী
থানায় চাঁদা দাবি করে ধরা কথিত সাংবাদিক
প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০১৯ | ০৮:৩০
চাঁদা চেয়ে থানায় চিঠি পাঠানোর পর অভিযান চালিয়ে কথিত এক সাংবাদিককে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার নগরের পাহাড়তলী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। আটক এম এ মুহিবুল্লাহ হোসাইন চৌধুরী ‘বিবিসিনিউজ২৪’ নামে একটি অনলাইন পত্রিকার চিফ রিপোর্টার হিসেবে নিজেকে দাবি করেছেন।পুলিশ জানায়, আগামী ১১ ও ১২ অক্টোবর ‘বিবিসিনিউজ২৪’ অনলাইন পত্রিকাটির কক্সবাজারে চতুর্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করা হবে জানিয়ে নগরের খুলশী ও কোতোয়ালী থানায় চাঁদা চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়। প্রতিষ্ঠানটির প্যাডে লেখা চিঠিতে নগরের পাহাড়তলী থানার অলঙ্কার মোড়ে হানিমুন টাওয়ারে প্রতিষ্ঠানটির কার্যালয় বলে উল্লেখ করা হয়। চিঠির সঙ্গে পাঁচ লাখ টাকার খরচের হিসাবও সংযুক্ত করা হয়। খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রনব চৌধুরী বলেন, প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর জন্য টাকা চেয়ে থানায় চিঠি পাঠানো হয়েছে। এটা স্রেফ চাঁদাবাজি। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে চাঁদা চেয়ে চিঠি পাঠানো ওই ব্যক্তিকে আটক করেছি। তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।
চাঁদাবাজি, চট্টগ্রাম, সাংবাদিক
প্যারিসে ছুরিকাঘাতে ৪ পুলিশ সদস্য নিহত, গুলিতে হামলাকারীর মৃত্যু
প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০১৯ | ০৮:৪৫ | আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০১৯ | ০৮:৫৬
ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে পুলিশ হেড কোয়ার্টারে এক ব্যক্তির ছুরিকাঘাতে চার পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছে। ওই হামলাকারীর নাম জানা না গেলেও তিনি ওই পুলিশ সদর দপ্তরে কর্মী বলে জানা গেছে। হামলার পরপরও পুলিশের গুলিতে তার মৃত্যু হয়। খবর বিবিসির।বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় একটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ফ্রান্সে পুলিশ কর্মকর্তাদের ওপর হামলার সংখ্যা বৃদ্ধির প্রতিবাদে বুধবার ধর্মঘট পালন করে সংস্থাটি। এর একদিন পরই এই হামলার ঘটনা ঘটল।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, হামলাকারী সোজা তার অফিসরুমে ঢুকে গিয়ে ছুরি হাতে সহকর্মীদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। ঘটনার সময় লোকজন দৌঁড়ে পালাচ্ছিল। কেউ কেউ কান্নায় ভেঙে পড়ছিল। এরপরই প্যারিসের কেন্দ্রে অবস্থিত ইলে দে লা সিটি নামের ওই এলাকাটি ঘিরে ফেলে জনসাধারণের চলাচল বন্ধ করে দেয় পুলিশ।ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রন, প্রধানমন্ত্রী এডুয়ার্ড ফিলিপ এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস্টোফ কাস্টনার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। প্যারিসের মেয়র অ্যান হিদালগো এক টুইট বার্তায় হামলায় একাধিক ব্যক্তি নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
হামলা, প্যারিস
পদ্মা সেতুর আদলে প্রতিমা মঞ্চ
প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০১৯ | ০৮:৫০ | আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০১৯ | ০৯:৩০
পদ্মা সেতুর আদলে তৈরি করা হয়েছে প্রতিমা মঞ্চ। তার ওপর স্থাপন করা হয়েছে দুর্গা, অসুর, কার্তিক, গণেশ, লক্ষ্মী ও সরস্বতীসহ ১১৫টি প্রতিমা। এসব প্রতিমার পাশাপাশি তাদের বাহন সিংহ, মহিষ, ময়ূর, ইঁদুর, পেঁচা, রাজহাঁসের প্রতিকৃতি স্থাপন করা হয়েছে। মন্দির জুড়ে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে পৌরাণিক কাহিনী।দুর্গাপূজা উপলক্ষে ব্যতিক্রমী এই প্রতিমা মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলা সদরের কেন্দ্রীয় কালীবাড়ি ও মঠ মন্দিরে। এই প্রতিমা মঞ্চ দেখতে এখন ভিড় করছেন সনাতন ধর্মাবলম্বী অসংখ্য মানুষ। ডুমুরিয়া উপজেলার ভদ্রা নদীর তীরে ডুমুরিয়া কেন্দ্রীয় কালীবাড়ি ও মঠ মন্দির। মঠের প্রবেশপথে তৈরি করা হয়েছে সুদৃশ্য গেট। মন্দিরের ভেতরে গিয়ে দেখা যায়, পদ্মা সেতুর আদলে তৈরি প্রতিমা মঞ্চটিকে রঙ করে আরও আকর্ষণীয় করা হয়েছে। মঞ্চের পূর্ব-দক্ষিণ পাশ থেকে উত্তর দিকে স্থাপন করা হয়েছে প্রতিমাগুলো।মঠের সাধারণ সম্পাদক তপন সাহা সমকালকে জানান, দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের কাছে পদ্মা সেতু হচ্ছে স্বপ্নের সেতু। সে কারণে মন্দির কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এ বছর পদ্মা সেতুর আদলে মঞ্চ তৈরী করা হয়েছে। এতে ব্যয় হয়েছে ৬৫ হাজার টাকা।প্রতিমা তৈরির কারিগর সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার অনীল কুমার ভাস্কর সমকালকে জানান, পদ্মা সেতুর আদলে নির্মিত মঞ্চের ওপর ১১৫টি প্রতিমা স্থাপন করা হয়েছে। তিনি ও তার ১২ জন সহযোগী প্রায় আড়াই মাস ধরে এসব প্রতিমা ও মঞ্চ তৈরি করেছেন। তিনি প্রতি বছরই প্রতিমা তৈরির ক্ষেত্রে নতুনত্ব আনার চেষ্টা করেন।মন্দির কমিটির সদস্য পরিতোষ কুমার বৈরাগী বলেন, এখানে দুর্গোৎসবের প্রচলিত রীতির প্রতিমাগুলোসহ ধর্মীয় বিভিন্ন পৌরাণিক দেবদেবীর প্রতিমাও ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। এখনকার ছেলে-মেয়েদের কাছে তাদের পরিচিত করানোই এর উদ্দেশ্য।খুলনা বিভাগের ১০ জেলায় এ বছর চার হাজার ৮৬৯টি মণ্ডপে দুর্গা পূজা হচ্ছে। এর মধ্যে শুধু খুলনা জেলায় পূজা হচ্ছে ৮১৯টি মণ্ডপে এবং নগরীর ১২২টি মণ্ডপে। এসব মণ্ডপে নেওয়া হয়েছে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা, মোতায়েন করা হয়েছে ৬ হাজার ৬১৭ জন পুলিশ এবং ২৪ হাজার ৫৭১ জন আনসার।খুলনা রেঞ্জ পুলিশের ডিআইজি ড. খন্দকার মহিদ উদ্দিন জানান, প্রতিটি পূজা মণ্ডপ পুলিশের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা পরিদর্শন করবেন। এ সময় ডিআইজির দপ্তরসহ বিভাগের ১০ জেলার কন্ট্রোলরুম সার্বক্ষণিক খোলা থাকবে।খুলনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন জানান, পূজার সময় পটকাবাজি না করা, নামাজের সময় মাইক না বাজানো, বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানো নিয়ন্ত্রণ, জুয়া বা মাদকের আসর না বসানো, ইভটিজিং প্রতিরোধসহ বিভিন্ন বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
দুর্গাপূজা, খুলনা
সব সম্প্রদায়ের মানুষকে দেশ গঠনে কাজ করতে হবে: সাঈদ খোকন
প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০১৯ | ০৮:৫৯ | আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০১৯ | ০৮:৪৮
অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বাংলাদেশ বিনির্মাণে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সব সম্প্রদায়ের মানুষকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন। তিনি বলেন, ধর্ম যার যার, কিন্তু উৎসব সবার- এই মূলমন্ত্র ধারণ করে বর্তমান সরকার সব সম্প্রদায়ের ধর্মীয় স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছে।বৃহস্পতিবার রাজধানীর রামকৃষ্ণ মিশন মঠ ও ঢাকেশ্বরী মন্দিরে দুর্গাপূজার সর্বশেষ প্রস্তুতি সরেজমিনে পরিদর্শনকালে এ কথা বলেন মেয়র। তিনি হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রত্যেককে শারদীয় দুর্গাপূজার শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, ভক্তরা যাতে নিরাপদে এবং নির্বিঘ্নে পূজার আনন্দ উপভোগ করতে পারেন, সে জন্য নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। মন্দিরগুলোর আশপাশের রাস্তা সংস্কার করা হয়েছে। বৈদ্যুতিক বাতির ব্যবস্থা করা হয়েছে। পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমও চলমান আছে।এদিন সকালে রামকৃষ্ণ মিশন প্রাঙ্গণে গেলে মিশনের সহসম্পাদক মহারাজ শান্তিকোরা নন্দ মেয়রকে স্বাগত জানান। তারা মেয়রকে পূজামণ্ডপ ঘুরিয়ে দেখান এবং পূজার সার্বিক প্রস্তুতি অবহিত করেন। পরে মেয়র ঢাকেশ্বরী মন্দিরে যান। এ সময় বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ এবং মহানগর সর্বজনীন পূজা কমিটির নেতারা মেয়রকে পূজার প্রস্তুতির বিষয়ে অবগত করেন।
সাঈদ খোকন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন , মেয়র
মধুর ক্যান্টিনে মেঝেতে বসে প্রতিবাদ ছাত্রদলের
প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০১৯ | ০৯:০৭ | আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০১৯ | ১০:০৫
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে বসার জায়গা না পেয়ে মেঝেতে বসে প্রতিবাদ জানিয়েছেন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। বৃহস্পতিবার সকালে এ ঘটনা ঘটে।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৃহস্পতিবার সকালে ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন ও সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল নেতাকর্মীদের নিয়ে মধুর ক্যান্টিনে যান। কিন্তু সব টেবিল-চেয়ার ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের দখলে থাকায় বসার জায়গা না পেয়ে একপর্যায়ে এর প্রতিবাদ জানিয়ে মধুর ক্যান্টিনের মেঝেতে বসে পড়েন তারা। এই প্রতিবাদে ছাত্রদলের দুই শতাধিক নেতাকর্মী যোগ দেন।ছাত্রদল নেতাকর্মীরা অভিযোগ করে বলেন, কয়েক দিন ধরেই ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা চেয়ার-টেবিল দখল করে রাখছেন। আগে দু-একটি চেয়ার-টেবিল থাকলেও বৃহস্পতিবার সকালে তাও ছিল না। ফলে বসার জায়গা পাচ্ছিলেন না ছাত্রদল নেতাকর্মীরা। আগে থেকেই তারা যেসব চেয়ার-টেবিলে বসতেন সেগুলোও দখল করে রাখা হয়। অথচ ছাত্রলীগের বসার জায়গার অধিকাংশ চেয়ার-টেবিল খালি পড়ে রয়েছে।ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন বলেন, আগে কিছু চেয়ার-টেবিল থাকলেও এখন সব দখল করে নিয়েছে ছাত্রলীগ। আমাদের বসার কোনো জায়গা নেই। ফলে মেঝেতে বসে প্রতীকী প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে শিগগিরই ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানান তিনি।
ছাত্রদল, মধুর ক্যান্টিন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
গোবিন্দগঞ্জে ছাগলকে বলাৎকার, ধরা পড়ে লোকলজ্জায় কিশোরের আত্মহত্যা
প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০১৯ | ০৯:১৫
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে ছাগলকে বলাৎকার করে ধরা পড়ে লোকলজ্জায় শাকিল মিয়া (১৭) নামের এক কিশোর গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ জানায়, বুধবার দুপুরে উপজেলার দুরবস্ত ইউনিয়নের বিশ্বনাথপুর মোন্নাপাড়া গ্রামের জাফরুল ইসলামের ছেলে শাকিল মিয়া বাড়ির পার্শ্ববর্তী আখ ক্ষেতে একটি ছাগলকে বলাৎকার করে। ঘটনাটি স্থানীয় লোকজন দেখে শাকিলকে ধরে নিয়ে তার বাবা-মার কাছে সোপর্দ করে। এরপর শাকিলের মা শাকিলা বেগম ছেলেকে শাসন করে একটি ঘরে তালাবদ্ধ করে রাখেন। বিকেলে শাকিলা বেগম ঘরের তালা খুলে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো ঝুলন্ত অবস্থায় শকিলকে দেখতে পান। মায়ের চিৎকারে বাড়ির ও আশপাশের লোকজন ছুটে এসে শাকিলকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা মর্গে পাঠিয়েছে।গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এএম মেহেদী হাসান বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে শাকিল লোকলজ্জায় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। এ ব্যাপারে থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গাইবান্ধা, আত্মহত্যা
রিফাত হত্যা: পলাতক ৮ আসামির মালপত্র ক্রোকের নির্দেশ
প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০১৯ | ০৯:১৮ | আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০১৯ | ০৯:৩১
বরগুনায় আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় পলাতক আট আসামির মালপত্র ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে মামলার প্রধান অভিযুক্ত রিফাত ফরাজীসহ দু'জনের জামিন আবেদনও নামঞ্জুর করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে বরগুনা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম গাজী এ আদেশ দেন। মামলার পরবর্তী তারিখ ১৬ অক্টোবর ধার্য করেছেন আদালত।যাদের মালপত্র ক্রোকের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সেই আসামিরা হলো- মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত, মুসা বন্ড, রিফাত হাওলাদার, রায়হান, নাঈম, রাকিবুল হাসান নিয়ামত, সাঈদ মারুফ বিল্লাহ ও প্রিন্স মোল্লা।বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মজিবুল হক কিসলু জানান, মামলার ধার্য তারিখ থাকায় কারাগারে থাকা ৭ আসামিকে হাজির করে পুলিশ। জামিনে থাকা মিন্নি ও আরিয়ান শ্রাবণও হাজির হন আদালতে। এ সময় প্রধান অভিযুক্ত রিফাত ফরাজি ও টিকটক হৃদয়ের জামিন আবেদনের শুনানি শেষে তা নামঞ্জুর করেন আদালত। গত ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করা হয় রিফাত শরীফকে। পরের দিন তার বাবা দুলাল শরীফ বাদী হয়ে বরগুনা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
রিফাত শরীফ হত্যা মামলা, বরগুনা
যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুকের ব্যাংক হিসাব তলব
প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০১৯ | ০৯:২০ | আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০১৯ | ০৮:৪৭
যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীর ব্যাংক হিসাব তলব করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে ব্যাংকগুলোকে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইনটেলিজেন্স ইউনিট।চিঠিতে তিন কার্যদিবসের মধ্যে ওমর ফারুক চৌধুরীর নামে থাকা ব্যাংক হিসাবগুলোর লেনদেন তথ্য, বিবরণীসহ সব পাঠাতে বলা হয়েছে।সাধারণত অর্থপাচার, অবৈধ লেনদেন, মানি লন্ডারিংসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক অর্থের উৎস অনুসন্ধানে কাজ করে ফাইন্যান্সিয়াল ইনটেলিজেন্স ইউনিট। চলমান মাদক ও দুর্নীতিবিরোধী অভিযানের মধ্যে যুবলীগ নেতার ব্যাংক হিসাবের তথ্য তলব করা হলো।জানা গেছে, ওমর ফারুক চৌধুরীর অ্যাকাউন্টে অস্বাভাবিক কোনো লেনদেন হয়েছে কি-না তা খতিয়ে দেখা হবে। আবার ব্যাংকগুলোও সব নিয়ম মেনে অ্যাকাউন্ট পরিচালনা করেছে কি-না তা পর্যালোচনা করবে বিএফআইইউ। এজন্য ওমর ফারুক চৌধুরীর নামে বর্তমানে বা এর আগে কোনো হিসাব পরিচালিত হয়ে থাকলে তা জানাতে বলা হয়েছে। হিসাব খোলার ফরম, কেওয়াইসি, লেনদেন প্রোফাইলসহ যাবতীয় তথ্য পাঠাতে বলা হয়েছে। বিএফআইইউ সব ব্যাংক থেকে তথ্য সংগ্রহ করে পর্যালোচনাসহ তা সংশ্লিষ্ট গোয়েন্দা সংস্থার কাছে পাঠাবে বলে জানা গেছে।রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় অবৈধ ক্যাসিনোর বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছে র‌্যাব। ক্লাবগুলোতে ক্যাসিনো পরিচালনার সঙ্গে যুবলীগ নেতাদের সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি জানতে পেরেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ক্যাসিনো পরিচালনার অভিযোগে এরই মধ্যে ঢাকা ও চট্টগ্রামের অনেককে আটক করা হয়েছে। আটক এসব ব্যক্তিসহ আরও অনেকের ব্যাংক অ্যাকাউন্টের লেনদেনের তথ্য খতিয়ে দেখছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
যুবলীগ, যুবলীগ চেয়ারম্যান, ওমর ফারুক চৌধুরী, বাংলাদেশ ব্যাংক
মিরপুরে নিজ বাড়িতে বৃদ্ধা খুন
প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০১৯ | ০৯:২৬ | আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০১৯ | ০৮:৪৫
রাজধানীর মিরপুরে বাসা থকে হাত-পা বাধা ও মুখে স্কচটেপ লাগানো অবস্থায় ৬৫ বছর বয়সী এক নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তার নাম শাহনাজ পারভীন। পুলিশ বলছে, শ্বাসরোধে ওই নারীকে হত্যা করা হয়েছে। কারা কী কারণে তাকে হত্যা করেছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। হত্যাকাণ্ডে পরিবারের কেউ জড়িত আছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার দুপুরে লাশ উদ্ধারের পার শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়।নিহতের স্বজনরা জানান, মিরপুর ৬ নম্বর সেকশনের সি ব্লকের চার নম্বর সড়কের পাঁচতলা বাড়িটি শাহনাজের নিজের। বাড়িটির নিচতলায় তিনি থাকতেন। দোতলায় থাকে তার মেয়ের পরিবার, তৃতীয় তলায় স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ছেলে। ৪র্থ ও ৫ম তলা ভাড়া দেওয়া।নিহতের পুত্রবধূ জেসমিন আক্তার জানান, বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তিনি দোতলা থেকে নিচতলায় নামেন। শাশুড়ির ঘরের মেঝেতে পানি জমে থাকতে দেখে তিনি ভেতরে ঢোকেন। এ সময় খাটে শাশুড়িকে পড়ে থাকতে দেখেন। তার হাত-পা বাধা ও মুখে স্কচটেপ লাগানো ছিল। পরে মিরপুর থানা পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পরিবারের দাবি, শাহনাজের হাতে স্বর্ণের বালা ছিল, সেগুলো পাওয়া যায়নি।তার মেয়ে স্কুল শিক্ষিকা, এক ছেলে জার্মান প্রবাসী আর আরেক ছেলে বরিশাল ক্যাডেট কলেজে কর্মরত। মিরপুর থানার ওসি দাদন ফকির বলেন, সকাল ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। হত্যার কারণ তাৎক্ষনিকভাবে জানা যায়নি। ছেলে এবং মেয়ে একই বাড়িতে থাকলেও বৃদ্ধা শাহনাজ কেনো নিচতলায় একা থাকতেন তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পরিবারের কেউ এই হত্যায় জড়িত আছে কিনা সেটিও দেখা হচ্ছে।
বৃদ্ধা খুন, মিরপুর
খালেদা জিয়ার মুক্তি আইনি বিষয়: তথ্যমন্ত্রী
প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০১৯ | ০৯:৩৫ | আপডেট: ১৮ নভেম্বর ২০১৯ | ১০:৫৯
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, খালেদা জিয়ার মুক্তি পুরোপুরি আইনি বিষয়। তিনি দুর্নীতি মামলায় আসামি। আদালতের মাধ্যমে দণ্ডপ্রাপ্ত। তাকে রাজনৈতিক কারণে বন্দি করা হয়নি। রাজনৈতিক কারণে কাউকে বন্দি করা হলে বা রাখা হলে তাকে আন্দোলনের মাধ্যমে মুক্ত করার বিষয়টি থাকে। সুতরাং খালেদা জিয়াকে আইনের মাধ্যমেই মুক্ত করতে হবে।বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। তথ্য সচিব আবদুল মালেক এ সময় উপস্থিত ছিলেন।তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপির কাছে আমার প্রশ্ন, তারা কোন পথে খালেদা জিয়ার মুক্তি চান! খালেদা জিয়ার মুক্তি তো আইনের পথে ছাড়া অন্য কোনো পথে সম্ভব নয়। কিন্তু বিএনপি বারবার হুঙ্কার দেয়, তারা আন্দোলনের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করবেন। বিএনপির আন্দোলনের নমুনা গত সাড়ে ১০ বছর থেকে দেখে আসছি। গত কয়েক দিনে তাদের সংসদ সদস্যরা বলছেন, খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে তাকে মুক্ত করে বিদেশে পাঠাবেন। কোথায় পাঠাবেন, সেটা পরের বিষয়; প্রথমত, তার মুক্তির বিষয়টি সুরাহা করতে হবে। মুক্তির বিষয়টি একান্ত আইনি ব্যাপার। জামিন বা খালাস বা প্যারোল- সব ক্ষেত্রেই আইনি প্রক্রিয়া আছে। আর উনি কোনো প্যারোলে আবেদন করেননি।এক প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় তারেক রহমানের জড়িত থাকার কথাটি এত দিন আমরা বলে আসছি, সেটি উইকিলিকসের তথ্যে উঠে আসছে। এটি আদালতে প্রমাণিত হয়েছে।বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের মাধ্যমে সব টিভি চ্যানেল সম্প্র্রচার শুরু হয়েছে জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এটি বাংলাদেশের জন্য সুখবর। এতদিন বৈদেশিক মুদ্রা বাংলাদেশ থেকে চলে যেত। এখন বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের জন্য ব্যয় বাংলাদেশি টাকাতেই দেওয়া সম্ভব।
ড. হাছান মাহমুদ, তথ্যমন্ত্রী
মামলা করায় ক্ষিপ্ত হয়ে স্ত্রী ও শাশুড়িকে হত্যা
প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০১৯ | ০৯:৪৬
হবিগঞ্জে স্ত্রী ও শাশুড়িকে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যার ঘটনার মূল হোতা সেলু মিয়াকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার রাতে সেলু তার স্ত্রী ও শাশুড়িকে হত্যার লোমহর্ষক জবানবন্দি দেয়। হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলামের আদালতে ১৬৪ ধারায় এ জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়। ঘাতক সেলু মিয়ার জবানবন্দিতে বেরিয়ে এসেছে ডাবল মার্ডারের চাঞ্চল্যকর তথ্য।পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্লা বলেন, দুই বছর আগে হবিগঞ্জ শহরতলির উমেদনগর এলাকার নূর মিয়ার ছেলে সেলু মিয়ার সঙ্গে দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে বিয়ে হয় বানিয়াচং উপজেলার তারাসই গ্রামের ফুল মিয়ার বোন ফুলবরণ নেছার। বিয়ের পর সেলু ও ফুলবরণের সংসার সুখে-শান্তিতে কাটলেও সম্প্রতি দেখা দেয় কলহ। একপর্যায়ে বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ায়। মামলা দায়ের করা হয় সেলু মিয়ার বিরুদ্ধে। এরপর থেকেই সেলু মিয়া ক্ষিপ্ত হয়ে তার প্রথম স্ত্রীর স্বজনদের সহায়তায় দ্বিতীয় স্ত্রীকে হত্যার পরিকল্পনা করতে থাকে। গত ৫ সেপ্টেম্বর ফুলবরণ নেছা ও তার বৃদ্ধা মা আদালতে আসার জন্য শহরতলির উমেদনগরের চাচাতো ভাই এনামুলের বাসায় রাতযাপন করেন। এনামুলের বাসায় বিষয়টি নিয়ে আপসের কথাবার্তা হয়; কিন্তু তাতেও কোনো ফল মিলেনি।এরপর সন্ধ্যার দিকে সেলু তার দ্বিতীয় স্ত্রী ও শাশুড়িকে নিয়ে নতুন বাসায় নেওয়ার কথা বলে একটি অটোরিকশায় তোলে। সঙ্গে ছিল সেলুর প্রথম স্ত্রীর বাবা তাজুল মিয়াসহ কয়েকজন। একপর্যায়ে বেড়িবাঁধ এলাকায় পৌঁছলে অটোরিকশা থেকে নামিয়ে স্ত্রী ও শাশুড়িকে খোয়াই নদীর চরে নিয়ে বেধড়ক মারধরে অজ্ঞান করে। অজ্ঞানের পর স্ত্রী ও শাশুড়িকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। ঘাতকরা মা-মেয়ের মরদেহ খোয়াই নদীতে ফেলে দেয়। এসপি আরও বলেন, মোবাইল ফোনের সূত্র ধরেই এ হত্যাকাণ্ডের ক্লু উদ্ঘাটন করা হয়েছে।এ ঘটনার পর গত ৮ সেপ্টেম্বর বানিয়াচং উপজেলার সুজাতপুর ইউনিয়নের শতমুখা এলাকার খোয়াই নদী থেকে স্ত্রী ও ১৯ সেপ্টেম্বর একই ইউনিয়নের বাজুকা এলাকা থেকে শাশুড়ির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।প্রেস ব্রিফিংয়ে আরও উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাজু আহমেদ ও সহকারী পুলিশ সুপার শৈলেন চাকমা।
হত্যা, জবানবন্দি, হবিগঞ্জ
ব্যাভিচারের দায়ে কক্সবাজারের এমপি কানিজের ছেলের কারাদণ্ড
প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০১৯ | ০৯:৫৪
কক্সবাজার জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোস্তাক আহম্মদ চৌধুরী ও বর্তমান সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য কানিজ ফাতেমার ছেলে রাকিন আহমেদ চৌধুরীকে ব্যাভিচারের দায়ে দুই বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম অতিরিক্ত চিফ মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মহিউদ্দিন মুরাদের আদালত এ রায় দেন। রাকিন পলাতক রয়েছেন।চট্টগ্রামের সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট মাহমুদুল হক মাহমুদ সমকালকে বলেন, জনৈক ফয়সাল বিন ফিরোজের স্ত্রীকে নিয়ে পালিয়ে যান রাকিন আহমেদ চৌধুরী। তাদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ সর্ম্পক ছিল। বিবাহিত হওয়ার পরও ফয়সালের স্ত্রীর সঙ্গে সর্ম্পক চালিয়ে যাওয়ায় রাকিনের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম আদালতে ব্যাভিচারের মামলা করেন ফয়সাল। ২০১৪ সালের ১০ এপ্রিল চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। এরপর দুই জনের সাক্ষ্য শেষে বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম অতিরিক্ত চিফ মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মহিউদ্দিন মুরাদের আদালত রাকিন আহমেদ চৌধুরীকে দুই বছরের কারাদণ্ডে দন্ডিত করেন। আসামি রাকিন পলাতক রয়েছেন। 
কক্সবাজার, ব্যাভিচার, কারাদণ্ড
খালেদা জিয়ার মুক্তি মানবিক ও আইনগত বিষয়: কৃষিমন্ত্রী
প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০১৯ | ১০:০৭ | আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০১৯ | ১০:১৩
কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়টি মানবিক ও একই সঙ্গে আইনগত বিষয়। এ নিয়ে আদালতের যা রায় হবে, সরকার সেটিই বাস্তবায়ন করবে। বৃহস্পতিবার দুপুরে সাতক্ষীরার তালা উপজেলার নগরঘাটা গ্রামে গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষ উপলক্ষে কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট আয়োজিত মাঠ দিবস কর্মসূচিতে এসে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।দেশজুড়ে ক্যাসিনো ও দুর্নীতিবিরোধী অভিযান প্রসঙ্গে কৃষিমন্ত্রী রাজ্জাক বলেন, কেউ আইনের উর্ধ্বে নন, এমনকি আমার দলের লোক কিংবা আমার আত্মীয়-স্বজন, এমনকি আমিও নই। দুর্নীতিতে জড়িত লোক যে দলেরই হোক, কেউ ছাড় পাবে না।মন্ত্রী পরামর্শ দেন, এসব দুর্নীতিবাজ ও ক্যাসিনো সম্রাটরা সাতক্ষীরার টমেটোর ক্ষেতে এসে চাষ শিখে আরও বেশি অর্থ ও সম্মান লাভ করতে পারেন। ক্যাসিনো কেলেঙ্কারিতে যারা কারাগারে আটক আছেন, তাদের সাতক্ষীরায় এনে টমেটো চাষের শিক্ষা দিলে ভালো হয়। কারণ, টমেটো চাষ করে তিন মাসে লাখ টাকা আয় করা যায়।মন্ত্রী আরও বলেন, নানা সুযোগে বিশেষ করে কারও না কারও হাত ধরে অনেক বিতর্কিত লোক আওয়ামী লীগে ঢুকে পড়েছে। তাই যাচাই-বাছাই ও স্বচ্ছতার ভিত্তিতে আগামীতে দলীয় সংগঠন গড়ে তোলা হবে।দেশে পেঁয়াজের অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পেঁয়াজ সংকট সাময়িক। এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে এ সংকটের নিরসন হবে। মন্ত্রী বলেন, এবার কৃষকদের ধানের ন্যায্য মূল্য দেওয়া সম্ভব হয়নি নানা কারণে। তবে আগামী বছর বেশি দামে ধান কেনা হবে।পরে কৃষিমন্ত্রী নগরঘাটা কবি নজরুল বিদ্যাপীঠ ময়দানে কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণ দেন। কৃষি সচিব মো. নাসিরউজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন- সাতক্ষীরা-২ আসনের সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবি, সাতক্ষীরা-১ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মুস্তফা লুৎফুল্লাহ, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য মুনসুর আহমেদ, সাবেক সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার শেখ মুজিবর রহমান, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর মহাপরিচালক ড. আবুল কালাম আজাদ, কৃষি গবেষণা কর্মকর্তা মো. আক্কাস আলি। উপস্থিত ছিলেন- জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল, পুলিশ সুপার মো. মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ।
কৃষিমন্ত্রী, সাতক্ষীরা
বরিশালে অনশন ভাঙলেন রিকশা শ্রমিকরা
প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০১৯ | ১০:১০
টানা ৩৩ ঘণ্টা পর অনশন ভাঙলেন বরিশালের ব্যাটারিচালিত রিকশা শ্রমিকরা। সচেতন নাগরিক কমিটির সভাপতি শাহ সাজেদার নেতৃত্বে নাগরিক সমাজের একটি প্রতিনিধি দল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় শরবত খাইয়ে রিকশা শ্রমিকদের অনশন ভঙ্গ করান।আন্দোলনকারী ব্যাটারিচালিত রিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের প্রধান উপদেষ্টা ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) জেলা সদস্য সচিব ডা. মণীষা চক্রবর্তী জানান, নাগরিক সমাজের একটি প্রতিনিধি দল বিকেলে মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (ট্রাফিক) মো. খায়রুল আলমের সঙ্গে দেখা করে। পুলিশ প্রশাসন নগরীর প্রধান সড়ক এড়িয়ে অন্যান্য সড়কে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচলের মৌখিক অনুমতি দেয়। একইসঙ্গে এর আগে জব্দ করা রিকশার ব্যাটারি ও মোটর ফেরত দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ প্রশাসন। এ আশ্বাসের ভিত্তিতে সন্ধ্যা ৭টায় রিকশা শ্রমিকরা অনশন ভঙ্গ করেন।পুলিশের হাতে জব্দ দুই কোটি টাকা মূল্যের ব্যাটারি ও মোটর রিকশা ফিরিয়ে দেওয়া, বিকল্প কর্মসংস্থান ছাড়া ব্যাটারিচালিত রিকশা উচ্ছেদ বন্ধ এবং প্রয়োজনীয় নীতিমালা করে নগরীতে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচলের দাবিতে রিকশা শ্রমিকরা বুধবার সকাল ১০টা থেকে অশ্বিনী কুমার হলের সামনে আমরণ অনশন শুরু করেন। বৃহস্পতিবার সকালে অনশনরত দুই রিকশাচালক গুরুতর অসুস্থ হলে তাদের শের-ই-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গত ১৯ আগস্ট থেকে নগরীতে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধ করে দিয়েছিল মেট্রোপলিটন পুলিশ।
ব্যাটারিচালিত রিকশা শ্রমিক, বরিশাল
উত্তরায় চীনা আবাসিক হোস্টেল থেকে 'মাহাজং' উদ্ধার
প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০১৯ | ১০:১৫
রাজধানীর উত্তরায় একটি চীনা আবাসিক হোস্টেলে অভিযান চালিয়ে দুটি ইলেকট্রনিক জুয়ার মেশিন 'মাহাজং' উদ্ধার করেছেন শুল্ক গোয়েন্দারা।বৃহস্পতিবার উত্তরার হবনব কফি হাউস ও চায়নিজ রেস্টুরেন্টের আবাসিক হোস্টেল থেকে 'মাহাজং' দুটি উদ্ধার করা হয়।কাস্টমসের শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক কাউছার আলম পাটওয়ারীর নেতৃত্বে একটি টিম অভিযান চালিয়ে ক্যাসিনোর এই জনপ্রিয় সামগ্রী দুটি উদ্ধার করেন। এর আগে রাজধানীর বনানীর একটি চায়নিজ রেস্টুরেন্ট এবং ঢাকার বাইরে নারায়ণগঞ্জ ও মুন্সীগঞ্জের ব্যাটারি এবং পোল্ট্রি ফার্ম থেকে বেশ কিছু ক্যাসিনো সামগ্রী জব্দ করা হয়।শুল্ক গোয়েন্দা সূত্র জানায়, উত্তরার হবনব কফি হাউস ও চায়নিজ রেস্টুরেন্টে চীনের নাগরিকের আনাগোনা ছিল। সেখানেই 'মাহাজং' দুটির ব্যবহার হয়। অভিযানের কারণে 'মাহাজং' মেশিন দুটি হোস্টেলে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল।সূত্র আরও জানায়, আটক জুয়া খেলার মেশিন দুটির আমদানি তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, মিথ্যা ঘোষণার মাধ্যমে এই দুটি ক্যাসিনো সামগ্রী আমদানিতে আনুমানিক ২ লাখ ৮৫ হাজার টাকা শুল্ক ফাঁকি দেওয়া হয়েছে। এ অপরাধে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।
ক্যাসিনো সামগ্রী, মাহাজং, জুয়ার সামগ্রী, জুয়ার সরঞ্জাম
সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমেই উত্থান ঘটেছিল জঙ্গিবাদের: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০১৯ | ১০:১৮
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে বাংলাদেশে জঙ্গি তৎপরতা শুরু হয়েছিল। আমরা তা দমন করতে সক্ষম হয়েছি। বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মাদক কেনাবেচা হচ্ছে। তাদের শনাক্ত করে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে। তাই সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে সবাইকে সচেতন হতে হবে। বৃহস্পতিবার দোহার উপজেলার সরকারি পদ্মা কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া ও একাডেমিক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এসব কথা বলেন।অন্যায়-দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অপরাধী যে দলেরই হোক কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। অপরাধীদের শনাক্তকরণে গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে। তালিকা পেলে সেটা যে ধরনেরই প্রতিষ্ঠান হোক, তাদের দমন করা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে চান। সুশাসন প্রতিষ্ঠায় দুর্নীতি রোধ করাটা আমরা চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছি। তাই যারা অনিয়ম-দুর্নীতি করছে বা অবৈধভাবে কোনো প্রতিষ্ঠান চালাচ্ছে অথবা অপরাধ করার চেষ্টা করছে, তাদের দমন করা হবে।দোহার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফরোজা আক্তার রিবার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও পদ্মা কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মেজর জেনারেল (অব.) অধ্যাপক ডা. এ আর খান, ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার মো. মারুফ হোসেন সরদার, ভূমি নিবন্ধন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. খান মো. আব্দুল মান্নান, দোহার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আলমগীর হোসেন, ঢাকা জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মাসুম আহম্মেদ ভুঁইয়া, ঢাকা জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (উত্তর) সাইদুর রহমান, সহকারী পুলিশ সুপার কেরানীগঞ্জ সার্কেল রামানন্দ সরকার, নবাবগঞ্জ সার্কেল এএসপি জহিরুল ইসলাম, দোহার থানার ওসি মো. সাজ্জাদ হোসেন, নবাবগঞ্জ থানার ওসি মোস্তফা কামাল, দোহার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলী আহসান খোকন শিকদার, পদ্মা কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সহসম্পাদক অ্যাডভোকেট একেএম আজিজুর রহমান, কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. জালাল হোসেন প্রমুখ।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, দোহার
বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শ অবলম্বনে ৫টি চলচ্চিত্রের মহরত
প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০১৯ | ১০:২৭ | আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০১৯ | ১০:৩৯
বঙ্গবন্ধুর জীবন ও আদর্শ অবলম্বনে পাঁচটি ইতিহাসভিত্তিক স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের মহরত করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী সাংস্কৃতিক ফোরাম (আসাফো)। বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক অনুষ্ঠানে চলচ্চিত্রগুলোর মহরত অনুষ্ঠিত হয়।মহরত হওয়া চলচ্চিত্রগুলো হলো- 'বঙ্গবন্ধু মাই লিডার মাই লাইফ', 'মুজিবুর রহমান', 'মুজিবের ছোঁয়া', 'মুজিব আদর্শ' এবং 'আমিই মুজিব'।আসাফোর সভাপতি শেখ শাহিনুর রহমান উজ্জ্বলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান। বিশেষ অতিথি ছিলেন চাঁদপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট নুরুল আমিন রুহুল। এ ছাড়া অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন আসাফোর সহসভাপতি পলাশ ঠাকুর, আরিফুর রহমান সোহেল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক রানা, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাবিবুর রহমান রোমেল, আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক খান মুহাম্মদ তোহা, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম চপল প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন আসাফোর সাধারণ সম্পাদক আজিজুল হক আরজু খান, মুখপাত্র মো. মুজিবুর রহমান এবং সাংস্কৃতিক সম্পাদক ফারজানা শারমীন লোপা।প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগামী বছর মুজিববর্ষ উপলক্ষে চলচ্চিত্রগুলোর মহরত সঠিক সময়ে হয়েছে। ওই চলচ্চিত্রগুলো প্রত্যেকটি টেলিভিশন চ্যানেলে প্রচারের বিষয়ে তথ্য মন্ত্রণালয় সহযোগিতা করবে। এ সময় তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেতারে আসাফোর বঞ্চিত সদস্যদের কাজের সুযোগ দেওয়ার বিষয়ে সহযোগিতা করারও আশ্বাস দেন।
স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র, বঙ্গবন্ধুর জীবন ও আদর্শ অবলম্বনে
অর্থনৈতিক উন্নয়নে বাংলাদেশের সাফল্য অসাধারণ: আইনমন্ত্রী
প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০১৯ | ১০:৩১
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, গত এক দশকে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে অসাধারণ সাফল্য অর্জন করেছে। শক্তিশালী নেতৃত্ব, সুশাসন, সঠিক উন্নয়ন পরিকল্পনা, স্থিতিশীল সরকার এবং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা দেশের অর্থনীতিকে মজবুত করেছে। দেশকে উন্নয়নের মডেল বানিয়েছে। বৃহস্পতিবার সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত 'ডুইং বিজনেস অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ইন বাংলাদেশ' শীর্ষক এক কর্মশালায় তিনি এ কথা বলেন। 'আন্তর্জাতিক ফিন্যান্স কর্পোরেশন', 'এন্টারপ্রাইজ সিঙ্গাপুর' এবং 'ইনফ্রাকচার এশিয়া' সম্মিলিতভাবে এ কর্মশালার আয়োজন করে।মন্ত্রী বলেন, বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সবাইকে অবাক করে দিয়েছে। বৈদেশিক সহায়তা গ্রহণকারী দেশ থেকে এখন বিনিয়োগের অনুকূল ভূমিতে পরিণত হয়েছে। দেশে বিনিয়োগের পরিমাণ ক্রমান্বয়ে বেড়ে জিডিপির ৩১ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। বেসরকারি বিনিয়োগ আগের দশকের তুলনায় পাঁচগুণ বৃদ্ধি পেয়ে ৭০.০৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে।আনিসুল হক বলেন, পিপিপির ভিত্তিতে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের ৩০তম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ এবং উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে বিশ্বব্যাপী স্বীকৃতি অর্জন করছে। এশিয় উন্নয়ন ব্যাংক আউটলুক ২০১৯ উল্লেখ করেছে যে, বাংলাদেশ এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশ। এইচএসবিসি তাদের ২০১৮ সালের প্রতিবেদনে ভবিষ্যতবাণী করেছে যে, ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে ২৬তম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ এবং বিশ্বের তিনটি দ্রুততম অর্থনীতির দেশের একটি।মন্ত্রী বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশেই সবচেয়ে উদার বিনিয়োগ নীতি রয়েছে। এখানে বিদেশি বিনিয়োগ সুরক্ষার জন্য আইনি ব্যবস্থা রয়েছে; উদার কর অবকাশ নীতি রয়েছে; যন্ত্রপাতি আমদানিতে শুল্ক ছাড়ের ব্যবস্থা রয়েছে; বিদেশিদের বিনিয়োগের ওপর লভ্যাংশ এবং মূলধনের সম্পূর্ণ নিয়ে যাওয়ার সুবিধা রয়েছে। 
আইনমন্ত্রী, আনিসুল হক
দুর্নীতির মূলোৎপাটনই দেশকে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাবে: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০১৯ | ১০:৩৪
দেশে দারিদ্র্যের হার উল্লেখযোগ্য হারে কমছে বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। তিনি বলেছেন, দুর্নীতি সমূলে উৎপাটন করতে পারলে দেশ কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাবে। বৃহস্পতিবার রাজধানীর বেড়িবাঁধের বড়বাজারে বাংলাদেশ সরকারের প্রথম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামের নামে কনভেনশন সেন্টার উদ্বোধন ও ১০১৯ সালে ঢাকা জেলার এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মো.তাজুল ইসলাম এসব কথা বলেন। ঢাকা জেলা পরিষদের উদ্যোগে ১৮ কোটি টাকা ব্যয়ে কনভেনশন সেন্টারটি নির্মাণ করা হয়েছে। এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন আসলামুল হক আসলাম এমপি, নিবন্ধন পরিদপ্তরের মহাপরিদর্শক খান মো. আব্দুল মান্নান, স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব আমিনুল ইসলাম প্রমুখ। একই দিন রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে জাতীয় স্থানীয় সরকার ইনস্টিটিউটে উপজেলা পরিষদের পরিকল্পনা ও সেবা প্রদান সম্পর্কিত প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন করেন তাজুল ইসলাম। জাপান আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (জাইকা) সহায়তাপুষ্ট 'উপজেলা পরিচালন ও উন্নয়ন প্রকল্পের অর্থায়নে দেশের নবনির্বাচিত উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান এবং উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাদের চার দিন ধরে মৌলিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
মো. তাজুল ইসলাম, স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
যুবলীগ নেতার অবৈধ স্থাপনা গুঁড়িয়ে দিল প্রশাসন
প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০১৯ | ১০:৪৮
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক আশরাফুল ইসলামের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে।বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার শালবাহান ইউনিয়নের মাঝিপাড়ায় পঞ্চগড়-বাংলাবান্ধা জাতীয় মহাসড়ক সংলগ্ন এলাকায় সড়ক ও জনপথ বিভাগের জমিতে গড়ে তোলা স্থাপনায় উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে উপজেলা প্রশাসন।উপজেলা প্রশাসন জানায়, তেঁতুলিয়া মডেল থানা ও হাইওয়ে থানা পুলিশের সহযোগিতায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মাসুদুল হক এই অভিযান পরিচালন করেন। এ সময় সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী আব্দুল মুকিত, তেঁতুলিয়া মডেল থানার ওসি জহুরুল ইসলাম, তেঁতুলিয়া হাইওয়ে থানার ওসি আব্দুল্লাহ-হেল-বাকী উপস্থিত ছিলেন। অভিযানে সড়ক ও জনপথের জমিতে ওই যুবলীগ নেতার গড়ে তোলা গোলঘর, বাগান, সিমেন্টের তৈরি বসার আসন, ছাতাসহ বিভিন্ন স্থাপনা স্কেভেটার মেশিন দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। শালবাহান ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক আশরাফুল ইসলাম প্রায় ৫ বছর আগে মাঝিপাড়া এলাকায় সড়ক ও জনপথ বিভাগের জমি, কবরস্থান ও খাসজমি দখল করে দলীয় প্রভাব খাটিয়ে বাগান বাংলো, গোলঘর, দোকানপাট ও ক্লাব গড়ে তোলেন। তিনি সেখানে বিভিন্ন অপকর্ম চালাতেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।যুবলীগ নেতা আশরাফুল ইসলাম বলেন, কোন প্রকার নোটিশ ছাড়াই উদ্দেশ্যমূলক ভাবে আমার স্থাপনায় উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হলো। তেঁতুলিয়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মাসুদুল হক বলেন, সড়ক ও জনপথ বিভাগের জমি দখল করে স্থাপনা গড়ে তোলায় আশরাফুল ইসলামকে বারবার তা সরিয়ে নিতে নোটিশ দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি তা না সরানোয় উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
পঞ্চগড়, যুবলীগ, যুবলীগ নেতা, উচ্ছেদ অভিযান
দক্ষিণ কোরিয়ায় শেখ হাসিনার ৭৩তম জন্মদিন উদযাপন
প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০১৯ | ১০:৫৫
দক্ষিণ কোরিয়ায় উদযাপিত হলো প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার ৭৩তম জন্মদিন।গত শনিবার দক্ষিণ কোরিয়ার 'আশিয়ানা রেস্টুরেন্ট'-এ শেখ হাসিনার জন্মদিন উদযাপন করে দক্ষিণ কোরিয়া আওয়ামী লীগ। এ উপলক্ষে সেখানে 'শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশ' শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।সভায় সভাপতির বক্তব্যে আব্দুল মতিন দেশের রাজনীতি এবং জননেত্রী শেখ হাসিনার অবদানের ওপর আলোচনা করেন।অন্যদের মধ্যে সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম হাছান, সিনিয়র সহ সভাপতি রফিকুল ইসলাম ভুট্টো, রবিউল ইসলাম রিপন, ওবায়দুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনোজ প্রভাকর, সাখাওয়াত হোসেন সৈকত বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের সভাপতি ডেভিড ইকরাম প্রমুখ বক্তব্য দেন।গণ মানুষের নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার জীবন দর্শন ও সংগ্রামী জীবনী সম্পর্কে আলোচনা করেন দক্ষিণ কোরিয়া আওয়ামী যুবলীগ সভাপতি মনোয়ার হোসেন মানিক। আরো বক্তব্য দেন সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম এস আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক রতন দে, আশরাফুল আলম নিল্টু, নুরুল প্রমুখ।অনুষ্ঠানটি শুরু হয় পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন দক্ষিণ কোরিয়া যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ময়মুর সুলতান।সভায় বক্তারা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণে জননেত্রী শেখ হাসিনার ভ্যানগার্ড হয়ে সকল অপশক্তির বিরুদ্ধে থাকার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন। আলোচনা শেষে কেক কাটা হয় এবং সবশেষে সুস্বাদু খাঁসি-বিরিয়ানী দিয়ে অতিথীদের আপ্যায়ন করা হয়। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
দক্ষিণ কোরিয়া আওয়ামী লীগ, শেখ হাসিনার জন্মদিন
হরিণ খেতে গিয়ে প্রাণ গেল অজগরের
প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০১৯ | ১০:৫৭
নেত্রকোণার কলমাকান্দায় বুধবার সন্ধ্যায় হরিণ খেয়ে মারা গেছে প্রায় সাত ফুট লম্বা একটি অজগর সাপ। উপজেলার সীমান্তবর্তী রংছাতি ইউনিয়নের চন্দ্রডিঙ্গা নামক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় ইউপি সদস্য মোফাজ্জল হোসেন জানায়, সাত ফুট লম্বা অজগরটি ভারতের মেঘালয় পাহাড় থেকে নেমে এসে একটি হরিণ শাবক গিলে ফেলে। এক পর্যায়ে হরিণ শাবকটি সাপটির গলায় আটকে যায়। এলাকাবাসী সাপটিকে দেখতে পেয়ে বেঁধে রাখে। কিছু সময় পর সেটি মারা যায়। মরে যাওয়ার পর স্থানীয়রা সাপটিকে মাটিচাপা দিয়েছে। রংছাতি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তাহেরা খাতুন বলেন, ওই পাহাড়ি অঞ্চলে এমন আরও অজগর সাপ থাকতে পারে। এ ব্যাপারে উপজেলা বন কর্মকর্তা রতিন্দ্র কিশোর রায় বলেন, স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে ঘটনাটি শুনেছি। 
হরিণ, অজগর, নেত্রকোণা
হাতীবান্ধায় শেয়াল জবাই করে মাংস ভাগাভাগি
প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০১৯ | ১১:৩৪
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার গেন্দুকুড়ি এলাকায় শেয়াল জবাই করে গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে মাংস কেটে তা ভাগাভাগি করে নেওয়ার অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। বুধবার রাতে ভারপ্রাপ্ত জেলা বন কর্মকর্তা নূরনবী  ঘটনার সঙ্গে জড়িত  ৫ জনের নাম উল্লেখ করে হাতীবান্ধা থানায় মামলাটি  দায়ের করেন। এর আগে গত শনিবার শেয়ালটি জবাই করে গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে চামড়া ছাড়ানোরা ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হলে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় ওঠে। স্থানীয়রা জানায়, গত শনিবার গেন্দুকুড়ি এলাকার আজহার আলীর বাড়ি থেকে একটি পোষা ছাগল ধরে নিয়ে যাচ্ছিল শেয়াল।  এসময় ওই শেয়ালটিকে ধরে জবাই করে মাংস ভাগ করে নেন উপজেলার গেন্দুকুড়ি এলাকার আব্দুস ছামাদ ভুঁইয়ার ছেলে খোরশেদ আলম, একই এলাকার সুরুজ জামালের ছেলে আলমগীর হোসেন ও  আজহার আলীর ছেলে আবুল কালামসহ কয়েকজন যুবক। এ সময় একই গ্রামের আব্দুল গফুরের ছেলে নায়েব আলী মোবাইল ফোনের সাহায্যে তা ভিডিও করে ফেসবুকে ছড়িয়ে দেন। শেয়ালের মাংস খেলে অনেক জটিল রোগ ভাল হয় এমন ধারনা থেকেই তারা শিয়ালের মাংস ভাগ করে নিয়েছেন বলে জানা যায়। এ বিষয়ে জেলা বন কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) নূরনবী বাদল বলেন, এ ধরনের সংবাদ নজরে এলে বুধবার দুপুরে ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্তদের শনাক্ত করা হয়েছে। ২০১২ সালের বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইনে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওমর ফারুক বলেন, এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সামিউল আমিন বলেন, এ সংক্রান্ত একটি বিষয় ফেসবুকের মাধ্যমে আমার নজরে এসেছে। খোঁজ নিয়ে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়। তাই  উপজেলা বিট কর্মকর্তাকে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
লালমনিরহাট, শেয়াল
দৌলতপুরে ডেঙ্গুতে কলেজছাত্রের মৃত্যু
প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০১৯ | ১১:৫৭
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ইমরান হোসেন (২৭) নামে এক কলেজছাত্র মারা গেছেন।বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। ইমরান দৌলতপুর উপজেলার আড়িয়া ইউনিয়নের হৃদয়পুর গ্রামের মো. নাসির উদ্দিনের ছেলে। তিনি দৌলতপুর ডিগ্রি কলেজের অনার্স শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। ইমরানের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে তার চাচাতো ভাই লিটন হোসেন বলেন, তিনদিন আগে ইমরান ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হলে তাকে কুষ্টিয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে বুধবার উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়া হয়। সেখানেই বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।এনিয়ে দৌলতপুর উপজেলায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে এক নারীসহ তিনজনের মৃত্যু হলো।
কুষ্টিয়া, ডেঙ্গু, এডিস মশা, ডেঙ্গুতে মৃত্যু, ডেঙ্গু জ্বর
ইলিশ কূটনীতি বনাম তিস্তা রাজনীতি
প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০১৯ | ১৩:১৩ | আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০১৯ | ১০:৪৩
গত শতাব্দীর সত্তরের দশকের শুরুতে বাংলাদেশ যখন মহান মুক্তিযুদ্ধেরমাধ্যমে দেশ স্বাধীন করতে বদ্ধপরিকর, তখন প্রথম শুনলাম আমেরিকা ও চীনেরমধ্যে শুরু হয়েছে 'পিংপং ডিপ্লোমেসি'। অর্থাৎ টেবিল টেনিস খেলা দিয়ে তাদেরকূটনীতির সূত্রপাত। এর আগে ওয়াশিংটন আর ইসলামাবাদের কূটনৈতিক বেইমানিরকারণে মার্কিন প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সনের নিরাপত্তা উপদেষ্টা হেনরিকিসিঞ্জার গোপনে চীন সফর করলেন।  এই তিন দেশই বাংলাদেশের অভ্যুদয় ও জনগণেরআশা-অভিলাষের বিরোধিতা করেছিল। পাকিস্তানের মিডিয়াকে বলা হলো, 'কিসিঞ্জারঅ্যাবোটাবাদে বিশ্রাম নিচ্ছেন।' এর পর অবশ্য নিক্সন চীন সফর করেন। এই ঘটনার২৫ বছর পর শুনলাম 'ইলিশ কূটনীতি'। পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুস সামাদ আজাদ ঘটাকরে পদ্মার বাঘা বাঘা ইলিশ বেছে উপহার দিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীজ্যোতি বসুর করকমলে।  আহদ্মাদে আটখানা হয়ে উঠলেন স্পষ্টভাষী, নিরহঙ্কার ওবঙ্গের হিতৈষী জ্যোতি বসু। বিনা বাধায় বাংলাদেশ-ভারত গঙ্গা চুক্তি সম্পাদিতহলো।এখন পদ্মার ইলিশ দিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তারজনগণকে খুশি করার চেষ্টা করা হচ্ছে। ইলিশ রফতানি নিষিদ্ধ। তবু আইনপরিবর্তন করে বিশেষ ব্যবস্থাধীনে একটি অংশ এরই মধ্যে কলকাতা পৌঁছে গেছে।পাঁচশ' টন ইলিশের অবশিষ্টাংশ যাবে আগামী সপ্তাহে দুর্গাপূজার সময়।দিদিখ্যাত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন জোগানোর একমাত্র কারণ তিস্তা নদী। তিনিগোঁ ধরেছেন- বাংলাদেশের মানুষ মরে গেলেও তিস্তার পানির এক ফোঁটাও দেবেননা। আর বাংলাদেশ পণ করেছে- ছলে-বলে-কৌশলে হলেও তিস্তার ভাগ আদায়  করে নেবে।তিস্তা নদী ভারতের সিকিম ও পশ্চিমবঙ্গ হয়ে বাংলাদেশের চিলমারীতে প্রবেশ করেব্রহ্মপুত্রে গিয়ে পড়েছে। হাসিনা ও মনমোহন সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল-তিস্তার ৪৫০ কিউসেক পানি প্রবহমান রেখে অবশিষ্ট ৪৮ শতাংশ পাবে বাংলাদেশ এবং৫২ শতাংশ ভারত। প্রথমে ১৫ বছরমেয়াদি অন্তর্বর্তীকালীন চুক্তি হবে। পরেপানিপ্রবাহ পর্যবেক্ষণ করে একটি দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি স্বাক্ষর করা হবে। মমতাবলেছেন, পশ্চিমবঙ্গের উত্তরাঞ্চলের লোকেরা চাষাবাদের জন্য তিস্তার ওপরনির্ভরশীল। তার ধারণা, পানির হিসাবে ৩৫ হাজার কিউসেক যদি বাংলাদেশ পায়,তাহলে উত্তরবঙ্গের সেচ ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে; বিপন্ন হবে কৃষি। ব্যবসায়ীদেরসঙ্গে বৈঠকে তার আসল রূপটি বেরিয়ে আসে। 'আপনারা কি চান আমি একবার এসেই সবসমস্যার সমাধান করে চলে যাই?' তাদের পাল্টা প্রশ্ন করে তিনি বলেন, 'তিস্তানিয়েও তো ইতিবাচক পরিবেশের কথা শুরু হলো। আপনাদের জল চাই, সেটা আমি বুঝি।তিস্তার জল নিয়ে পশ্চিমবঙ্গেও কিছু সমস্যা রয়েছে। শুস্ক মৌসুমে উত্তরবঙ্গেজলই থাকে না। আর জলই যদি না থাকে, তাহলে সেটা দেওয়া যাবে কীভাবে?' মমতানিশ্চয়ই জানেন, তিস্তা চুক্তি সম্পাদিত না হওয়ার কারণে শুস্ক মৌসুমে ভারতএকতরফাভাবে পানি প্রত্যাহার করে। ফলে তখন বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলেসেচের পানির তীব্র সংকট দেখা দেয়।আসলে বিষয়টি সম্পূর্ণ রাজনৈতিক। স্থানীয় রাজনীতির বাধ্যবাধকতার কারণেই তিনিচুক্তিতে বাদ সাধছেন। বাংলাদেশকে এই পরিমাণ পানি দিলে পশ্চিমবঙ্গের কৃষিরক্ষতি হবে না- তা তিনি ভালো করেই জানেন। তিনি যে কমিশন গঠন করেছিলেন, তাএসব দিক পর্যালোচনা না করে বিবেচনায় নিয়েছে পরিবেশ সংরক্ষণ।আট বছর আগে মহাকরণে যাওয়ার পর ক্ষমতার ভারে বদলে গেলেন মমতা দেবী। তাকেঘোড়ারোগে পেয়ে বসল। অচিরেই তিনি অসহিষ্ণু হয়ে উঠলেন এবং সমালোচকদের শিক্ষাদেওয়ার জন্য জেলে পাঠাতে শুরু করলেন। যে গণমাধ্যম তাকে সমর্থন দিয়ে ক্ষমতায়নিয়ে এসেছিল, সেই গণমাধ্যমই হয়ে উঠল তার চক্ষুশূল। তখন কেউ কেউভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন :বিনা কারণে ধৈর্যচ্যুতি তাঁর জন্য কাল হয়ে দাঁড়াবে।পশ্চিমবঙ্গ এখন আর সেই অর্থে তাঁর কবজায় নেই। পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি এমন শক্তঘাঁটি গেড়েছে যে, প্রতিদিনই মমতার তৃণমূলের বড় বড় নেতা অমিত শাহ কিংবাবিজেপির অন্য কারও পা ছুঁয়ে দলবদল করছেন। মমতা উল্টোরথে উঠেছিলেন, এখন নতুনকরে হিসাব-নিকাশ করে সোজা পথে হাঁটার চেষ্টা করছেন, তবে সময় অনেক পার হয়েগেছে। প্রধানমন্ত্রীশেখ হাসিনা ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যে সখ্য দীর্ঘদিনের। আট বছর আগেমমতার দল যখন নির্বাচনে জয়লাভ করে, তখন সব প্রটোকল ভেঙে হাসিনা তাঁকে ফোনকরে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন। তবে মমতা তার মূল্যায়ন করেননি; বিভিন্ন ইস্যুতেবাংলাদেশের বিরোধিতা করেছেন। কিন্তু শেখ হাসিনার উদারতার  কোনো ঘাটতি দেখাযায়নি। কয়েক বছর আগে মমতা ঢাকা এলে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান। প্রটোকল ভেঙেশহীদ মিনারে তাঁর সঙ্গে কথা বলেন এবং বাড়িতে নিজে এসে গাড়িতে তুলে দেন।তাঁর সফরের আগে বলা হয়েছিল, তিনি চমক দেখাবেন। কংগ্রেস সরকারের দুর্বলতারকারণে যে তিস্তার পানি চুক্তি তিনি ইতিপূর্বে বিনা কারণে ঠেকিয়ে রেখেছিলেন-সে প্রশ্নে তাঁর কোনো স্পষ্ট জবাব ছিল না। ঢাকায় আসার পর বলেছিলেন, আস্থারাখুন; শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে সমাধান মিলে যাবে। পরদিন প্রতিশ্রুত কোনোচমক না দেখিয়ে বিষয়টি 'ভেবে দেখব' বলে মৌখিক আশ্বাস দিলেন প্রধানমন্ত্রীশেখ হাসিনাকে। তিনি বলেছেন, তড়িঘড়ি করে এ সমস্যার সমাধান তাঁর পক্ষে সম্ভবনয়। কারণ কিছু 'বাধ্যবাধকতা' রয়েছে। তবে এ প্রশ্নে তিনি কোনো সমাধানেরইঙ্গিত না দেওয়ায় বাংলাদেশিরা মর্মাহত হয়েছিলেন। তবে তিস্তা প্রশ্নে তিনিযা-ই বলুন না কেন, বাংলাদেশিরা যে অতিথিপরায়ণ- শেখ হাসিনা তা আবার প্রমাণকরেন। মমতা ও তাঁর সফরসঙ্গীদের খাওয়া-দাওয়ার বিষয়টি ছিল যেন এক এলাহিকাণ্ড। তালিকায় ছিল কালিজিরা চালের ভাত, সবজি, ডাল, ভাপা ইলিশ, ইলিশ ভাজা,শর্ষে ইলিশ, ইলিশের ডিম ভাজি, ইলিশের তেল, চিতলের মুইঠ্যা, রূপচাঁদা ভাজা,রুই কালিয়া, গলদা চিংড়ির মালাইকারি, খাসির রেজালা, মুরগি ভুনা এবংকুমিল্লার রসমালাই ও মিষ্টি দই। এই খাওয়া খেয়ে তাঁর সফরসঙ্গীদের অনেকেইঢেঁকুর তুলে বলেছিলেন, ইলিশের এত পদ জীবনেও কোনোদিন খাইনি। ঘি যেমন সবারপেটে সয় না, তেমনি কারও কারও নাকি পেট-কামড়ানি হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল ৩ অক্টোবর দিল্লি সফরে গেছেন। তিনি'ইন্ডিয়া ইকোনমিক ফোরামে' যোগ দেওয়ার পর ৫ তরিখে দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় বসবেনপ্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে। আলোচনার বিষয়ের শেষ নেই। স্বাভাবিকভাবেইতিস্তার পানি বণ্টন বিষয়টি শীর্ষে থাকবে। কিন্তু লাভ হবে না কিছুই। কারণসাম্প্রতিক সফরে মমতা ও মোদি এ প্রশ্নে কোনো কথাই বলেননি। আর পূজার সময়মমতা দেবী কলকাতার বাইরে যান না। তিস্তার অবস্থা এখন ত্রিশঙ্কু। তবুবরাবরের মতো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, তিস্তার বিষয়টি তিনি ভেবে দেখবেন।কিন্তু তাঁর এই ভাবা কবে শেষ হবে, তা শুধু তিনিই বলতে পারেন। এখন এটিস্পষ্ট, তিস্তার পানি ভাগাভাগির সমাধান শিগগিরই হচ্ছে না। বাংলাদেশ ও ভারত ইতিমধ্যে নিরাপত্তা, বাণিজ্য, বিদ্যুৎ, জ্বালানি, যোগাযোগ,উন্নয়ন সহায়তা, পরিবেশ, শিক্ষা. অবকাঠামো উন্নয়ন, সংস্কৃতি ও স্বাস্থ্যখাতে চুক্তি করেছে। তালিকায় অন্য বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে ব্লু ইকোনমি,পারমাণবিক অস্ত্রের শান্তিপূর্ণ ব্যবহার, আকাশসীমার গবেষণা, সাইবারনিরাপত্তা। শেখ হাসিনার এবারের সফরে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হবেএবং  রোহিঙ্গা ও নাগরিকপঞ্জি নিয়ে গুরুত্ব সহকারে না হলেও মতবিনিময় হবে।তবে ভারতের ঋণের বিষয়টি আদৌ আলোচিত হবে কি-না, সেই সন্দেহ অনেকের মনেইরয়েছে। ভারত বাংলাদেশকে ঋণ দিয়েছে ৭৮৬  বিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে সামান্য কিছুঅনুদানও রয়েছে। মাত্র ১০ শতাংশ দিয়েছে। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে অবশিষ্ট টাকাছাড় দিচ্ছে না।ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি একজন ঝানু  রাজনীতিবিদ। বিজেপি সভাপতিএবং বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে সঙ্গে নিয়ে গত নির্বাচনে তিনিমমতাকে নাকানি-চুবানি খাইয়েছেন।  এতে বোধ করি কিছুটা হলেও শিক্ষা হয়েছেতাঁর। গত মাসে নিজ উদ্যোগে মোদির সঙ্গে দেখা করতে যান দিল্লিতে।পশ্চিমবঙ্গে একটি কয়লা খনি উদ্বোধনের নিমন্ত্রণও করে আসেন। তিস্তার পানিবণ্টন প্রশ্নে দিল্লি আন্তরিক বলে মনে হচ্ছে। বাদ সাধছেন মমতা দেবী।দুর্গাপূজা উপলক্ষে শেখ হাসিনার ইলিশ উপহার মমতার কাছে অনেকটা ছাইভাতেরমতো। তবে খুব বেশিদিন বাকি নেই। এই ছাইভাতই তাঁকে গোগ্রাসে গিলতে হবে।প্রবীণ সাংবাদিক, ইন্টারন্যাশনাল প্রেসিডেন্ট ইমেরিটাস, কমনওয়েলথজার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন (সিজেএ) এবং জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি
বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক, হাসান শাহরিয়ার
ভাইস চ্যান্সেলরের জীবন-কাহিনী
প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০১৯ | ১৩:১৫ | আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০১৯ | ১০:৪৩
সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ :এই লেখাটি দেশের সত্যিকারের শিক্ষাবিদ এবং নীতিবান ভাইস চ্যান্সেলরদের জন্য প্রযোজ্য নয়।১.যারা খবরের কাগজ পড়েন তারা সবাই জানেন, গত কিছুদিন দেশে দুই ধরনেরদুর্নীতি নিয়ে তুলকালাম কাণ্ড হচ্ছে। একটি হচ্ছে, যুবলীগ নেতাদের ক্যাসিনোব্যবসা; অন্যটি ভাইস চ্যান্সেলরদের দুর্নীতি এবং স্বেচ্ছাচারিতা। যুবলীগকিংবা ছাত্রলীগের অপকর্মের কাহিনী শুনে কেউ বেশি অবাক হয় না (তারপরও সরকারিইঞ্জিনিয়ারদের হাজার কোটি টাকা ঘুষ দেওয়ার খবরটি মনে হয় হজম করা যথেষ্টকঠিন। টাকাগুলো ট্রাকে করে নিতে হয় কি-না ব্যাপারটা জানার আমার এক ধরনেরকৌতূহল আছে)। যুবলীগ-ছাত্রলীগের অপকর্মের কথা শুনে দেশের মানুষ অবাক নাহলেও ভাইস চ্যান্সেলরদের অপকর্মের কথা শুনে সবাই বুকের মাঝে এক ধরনেরধাক্কা খায়। একটা দেশের সবচেয়ে বড় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়।সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মানুষ হচ্ছেন ভাইস চ্যান্সেলর।যখন তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি কিংবা অনৈতিক কাজকর্মের অভিযোগ আসে, তখন আমরাকার দিকে মুখ তুলে তাকাব, বুঝতে পারি না।আমি এই দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৫ বছর কাটিয়ে বিদায় নিতে যাচ্ছি। একটিবিশ্ববিদ্যালয়ের সুখ-দুঃখ, সাফল্য-ব্যর্থতা (এবং কখনও কখনও হীনতা-নীচতা)আমি খুব কাছে থেকে দেখেছি। তাই আমার মনে হয়েছে, কীভাবে দেশের সর্বশ্রেষ্ঠশিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মানুষ কাজ করেন, সে সম্পর্কে একটাধারণা দিই। তবে কাজটা খুব গুছিয়ে করতে পারব বলে মনে হয় না। যে কোনো বিষয়বিশ্নেষণ করতে হলে প্রথমে বিষয়টা খুব ভালো করে বুঝতে হয়। আমি ভাইসচ্যান্সেলরদের একেবারে গোড়ার বিষয়টি বুঝতে পারি না- কেন একজন শিক্ষক ভাইসচ্যান্সেলর হতে চান? একজন শিক্ষকের জীবন কত আনন্দের! আমি যখন আমার শিক্ষকতাজীবনের ২৫ বছরের কথা চিন্তা করি, সেখানে কত মধুর স্মৃতি! সেই তুলনায় একজনভাইস চ্যান্সেলরের জীবনে দাপ্তরিক কাজ ছাড়া আর কী আছে? সুট-টাই পরে একটামিটিংয়ের পর আরেকটা মিটিং, একটা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণ দেওয়ার পরআরেকটা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণ- এই জীবনের জন্য কেন একজন লালায়িত হয়?কিন্তু আমি লক্ষ্য করেছি, শিক্ষকরা ভাইস চ্যান্সেলর হওয়ার জন্য খুব ব্যস্ত।সে জন্য লবিং করতে হয় এবং লবিং করে কাজ হয়। আমি নিজের কানে একজন ভাইসচ্যান্সেলরকে বলতে শুনেছি, 'যদি কেউ দাবি করে লবিং না করে সে ভাইসচ্যান্সেলর হয়েছে, তাহলে বুঝতে হবে, সে চরম মিথ্যাবাদী (ড্যাম লায়ার!)।' এইবিষয়টি আমি কোনো একটি লেখায় উল্লেখ করেছিলাম এবং সে জন্য ভাইসচ্যান্সেলরদের সংগঠনটি ক্ষুব্ধ হয়ে আমার বক্তব্যের বিরুদ্ধে একটা বিবৃতিদিয়েছিল। নিজের কানে যেটা শুনেছি সেটা বলেছি, সে জন্য আমার ওপর রাগ হয়ে লাভকী? আমি ধীরে ধীরে টের পেতে শুরু করেছি, ভাই চ্যান্সেলরের পদটি এক ধরনেরপুরস্কার। যারা খাঁটি শিক্ষাবিদ, তারা এই পুরস্কারের যোগ্য নন। যারা চুটিয়েশিক্ষক রাজনীতি করেন, শুধু তারা এই পুরস্কারের যোগ্য প্রার্থী। সাধারণতপুরনো বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর, বিশেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসররা এইপুরস্কারের অগ্রাধিকার পেয়ে থাকেন। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়টি মোটামুটিদাঁড়িয়ে গেছে। এখানে যথেষ্ট অভিজ্ঞ শিক্ষক আছেন; তারপর অর্ধেকেরও বেশি সময়ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভাইস চ্যান্সেলর দেওয়া হয়েছে। এখন যেহেতু আওয়ামীলীগের সরকার, কাজেই শিক্ষকরা নীল দলের শিক্ষক; তবে তাদের কেউ কেউ দলবদল করেনীল দলে এসেছেন। ভাইস চ্যান্সেলর হওয়ার জন্য আদর্শটি গুরুত্বপূর্ণ নয়,বর্তমান রংটি গুরুত্বপূর্ণ। যারা শিক্ষক রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকারাখতে পারেন, তাদের সামনে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ডালা খুলে দেওয়া হয়।তারা সেখান থেকে কোনো একটি বিশ্ববিদ্যালয় বেছে নেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েরপ্রফেসররা সাধারণত ঢাকাতেই স্থায়ীভাবে থাকেন। তাই তারা কোন বিশ্ববিদ্যালয়টিবেছে নেবেন, সেটা অনেকটুকু নির্ভর করে ঢাকা শহরের সঙ্গে যোগাযোগ কী রকম,তার ওপর। বিমান যোগাযোগ না থাকলে সেই বিশ্ববিদ্যালয়টিতে তারা আসতে চান না।মফস্বলের বিশ্ববিদ্যালয়ে দু-একদিন কাটিয়ে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের টাকায়বিমানে ঢাকা চলে যান। সেখানেই থাকেন, অন্য কাজকর্ম করেন।বিশ্ববিদ্যালয়েরএকজন সম্মানিত শিক্ষক কেন ভাইস চ্যান্সেলরের মতো একটা পদের জন্য এত ব্যস্তথাকেন, সেটা আজকাল একটু একটু বুঝতে শুরু করেছি। আমি নিজের কানে একজন ভাইসচ্যান্সেলরকে বলতে শুনেছি, 'আগের ভাইস চ্যান্সেলর এখান থেকে কমপক্ষে ৩০কোটি টাকা নিয়ে গেছেন।' একটা বিশ্ববিদ্যালয়ে বেতন এবং সুযোগ-সুবিধার বাইরেএকজন ভাইস চ্যান্সেলর নানাভাবে কত টাকা কামাই করেন, একবার আমার সেটাও জানারকৌতূহল হয়েছিল। সেটা জানতে চেয়ে আমি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে চিঠিলিখেছি। একজনকে চিঠি লিখলেই সে চিঠির উত্তর দিয়ে সব তথ্য জানিয়ে দেবে, সেটাকেউ আশা করে না; কিন্তু দেশে যেহেতু তথ্য অধিকার আইন বলে একটা আইন আছে,সেটার সূত্র ধরে আমি চিঠি লিখেছিলাম। যখন কিছুতেই চিঠির উত্তর পাই না, তখনআমি বিষয়টা তথ্য অধিকার কমিশনে জানিয়েছি। তারা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকেশুনানির জন্য ডেকে পাঠিয়েছিল; কিন্তু ততদিনে ভাইস চ্যান্সেলর মহোদয় চাকরিশেষ করে চলে গেছেন। আমি আমার তথ্যটি পাইনি সত্যি; কিন্তু তথ্য অধিকার আইনব্যবহার করে যে তথ্য জানতে চাওয়া যায়, সেই তথ্যটি পেয়েছি! সেটাই খারাপ কী? যাই হোক, ভাইস চ্যান্সেলর হলেই যে তিনি আর্থিক দুর্নীতি করবেন, সেটি মোটেওসত্যি নয়; কিন্তু আজকাল ঘুরেফিরে এ কথাটি অনেক বেশি শোনা যায়। খবরের কাগজখোলা হলেই কোনো না কোনো ভাইস চ্যান্সেলর নিয়ে কোনো একটা রগরগে খবর পাওয়াযায়। নিয়োগ বাণিজ্য আজকাল বহুল ব্যবহূত একটি শব্দ। তবে যারা চালাক-চতুর,তারা এমনভাবে সেটি করেন যে, তার কোনো প্রমাণ থাকে না এবং তাদের ধরা খুবকঠিন। কোনো কোনো ভাইস চ্যান্সেলর শুধু যে চালাক-চতুর তা নয়, একই সঙ্গে তারাদুঃসাহসী। দুর্নীতির অভিযোগ পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন থেকে তদন্তকরতে এসে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ত্রিসীমানায় ঢুকতে পর্যন্ত পারেননি- এ রকমঘটনাও আছে। তবে অর্থনৈতিক দুর্নীতি থেকেও অনেক বড় দুর্নীতি হচ্ছে প্রশাসনিকদুর্নীতি। একজন ভাইস চ্যান্সেলরের ক্ষমতা প্রায় সীমাহীন। বিশ্ববিদ্যালয়েরভেতরে তারা একজন সম্রাটের মতো, ইচ্ছা করলেই তারা কারও পরোয়া না করেবিশ্ববিদ্যালয় চালিয়ে যেতে পারেন। তাদের সবচেয়ে পছন্দসই কাজ হয় পছন্দেরমানুষকে নিয়োগ দেওয়া। নিজের আত্মীয়-স্বজনকে নিয়োগ দেওয়ার জন্য সাময়িকভাবেআইন পরিবর্তন করে আবার আগের আইনে ফিরে যাওয়ার উদাহরণ আমি নিজের চোখেদেখেছি।যারা বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্রিয়ার সঙ্গে পরিচিত না, তারা মনে করতে পারেন,যেহেতু একজন ভাইস চ্যান্সেলর নিজের একক ইচ্ছায় যা ইচ্ছা তাই করতে পারেন না;একাধিক কমিটির সিদ্ধান্ত নিয়ে সবকিছু করতে হয়, তাই এখানে হয়তো এক ধরনের'চেক অ্যান্ড ব্যালেন্স' আছে। কিন্তু ব্যাপারটি পুরোপুরি সত্যি নয়।বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রক্টর, প্রভোস্ট, বিভিন্ন কেন্দ্রের পরিচালক জাতীয় অনেকঅর্থকরী পদ থাকে। ভাইস চ্যান্সেলর নিজের ক্ষমতা বলে সেগুলো বিতরণ করেন। সববিশ্ববিদ্যালয়েই শিক্ষকদের দল থাকে। সব দলের গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষকদের এ রকমঅর্থকরী পদ দিয়ে তাদের মুখ বন্ধ করে ফেলা যায়। চাটুকার জাতীয় শিক্ষকরানিজেরাই মুখ বন্ধ রাখেন। তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিটিগুলো ভাইস চ্যান্সেলরেরমুখের কথায় ওঠে-বসে। একজন ভাইস চ্যান্সেলর একজন শিক্ষক ছাড়া কিছু নয়।কিন্তু তারপরও তারা অনেক সময় অবলীলায় অন্য শিক্ষকদের প্রকাশ্যে ধমক-ধামকদিতে কিংবা অপমান করতে দ্বিধা করেন না। আত্মসম্মানহীন শিক্ষকরা দেখতে দেখতেকেঁচোর মতো হয়ে যান। ভাইস চ্যান্সেলররা তখন প্রবল প্রতাপে একাডেমিককাউন্সিল কিংবা সিন্ডিকেটের মতো গুরুত্বপূর্ণ সভাগুলো নিয়ন্ত্রণ করেন।সিদ্ধান্তগুলো কাগজে লিখে নিয়ে এসে একাডেমিক কাউন্সিলে কিংবা সিন্ডিকেটেঘোষণা করেন, আধা ঘণ্টার মধ্যে মিটিং শেষ হয়ে যায়, চা-শিঙাড়া পর্যন্ত খেয়েশেষ করার সময় পাওয়া যায় না। একজন ভাইস চ্যান্সেলর ছলে-বলে-কৌশলে কিংবা প্রবল প্রতাপেশিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী সবাইকে নিয়ন্ত্রণ করলেও সবসময় ছাত্রদেরনিয়ন্ত্রণ করতে পারেন না। ছাত্রছাত্রীদের ভয়ভীতি দেখিয়ে অনেক সময়ইনিয়ন্ত্রণের মাঝে রাখা হয়; কিন্তু অবস্থা যখন বাড়াবাড়ি হয়ে যায়, তখন হঠাৎতাদের মাঝে বিস্টেম্ফারণ ঘটে। অবাধ্য ছাত্রছাত্রীদের শায়েস্তা করার জন্যতখন ভাইস চ্যান্সেলরের আজ্ঞাবহ শিক্ষকরা সরকারি দলের ছাত্রদের নিয়ে মাঠেনামেন। ব্যাপক পিটুনি দিয়ে কখনও কখনও আসলেই সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের শায়েস্তাকরে ফেলা হয়। কখনও কখনও অবস্থা আয়ত্তের বাইরে চলে যায়, সরকারের টনক নড়েএবং শেষ পর্যন্ত সেই ভাইস চ্যান্সেলরকে সরিয়ে নেওয়া হয়। মোটামুটি এই হচ্ছে আমাদের দেশের বেশিরভাগ ভাইস চ্যান্সেলরের জীবন-কাহিনী!২আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হচ্ছে এই দেশের অনেক বড় একটা সম্পদ। এইসম্পদকে যে কোনো মূল্যে রক্ষা করতে হবে। সেটা করার একটিমাত্র উপায়,সত্যিকারের শিক্ষাবিদদের ভাইস চ্যান্সেলর হিসেবে নিয়োগ দেওয়া। ঘড়েলরাজনীতিবিদদের নয়, অর্থলোভী মানুষদের নয়, নীতিহীন চরিত্রদের নয়; ভাইসচ্যান্সেলর হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার জন্য খুঁজে খুঁজে বের করতে হবে সেসবশিক্ষককে, যারা শিক্ষাকে ভালোবাসেন, শিক্ষকদের ভালোবাসেন এবং সবচেয়ে বেশিভালোবাসেন ছাত্রছাত্রীদের।এ রকম শিক্ষক অনেকেই আছেন, অন্যদের লাফঝাঁপের কারণে তারা চোখের আড়ালে পড়ে থাকেন। তাদের খুঁজে বের করা এমন কোনো কঠিন কাজ নয়। শিক্ষাবিদ
সাদাসিধে কথা, মুহম্মদ জাফর ইকবাল
ঘোড়ার কাঁধে গাধার বোঝা
প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০১৯ | ১৩:১৬
রাজধানীর গুলিস্তান থেকে বুড়িগঙ্গা নদীর সদরঘাট পর্যন্ত প্রায় প্রতি মিটারজায়গায় নাগরিক ব্যস্ততা ভোর থেকে মাঝরাত অবধি। দোকান ছাড়িয়ে ফুটপাত এমনকিসড়কেও বিস্তৃত দোকানপাট কিংবা কারখানার নিত্যকর্ম। এমন অতিব্যস্ত এলাকায়সড়কজুড়ে যান্ত্রিক সব বাহনের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দাপিয়ে বেড়ায় পেশিশক্তিরবাহন ঘোড়ার গাড়ি। স্থানীয়ভাবে 'টমটম' নামে পরিচিত এই গাড়ি এখন আর ঐতিহ্যনয়, বরং অমানবিকতা। মাত্রাতিরিক্ত খাটুনি, প্রয়োজনের তুলনায় নিতান্তই কমসমাদর, অসুস্থ-মরণাপন্ন ঘোড়াকে অযত্ন অবহেলায় ফেলে রাখার ঘটনাগুলো ভাবিয়েতুলছে প্রাণী বিশেষজ্ঞদের। গুলিস্তান জিরো পয়েন্ট থেকে তাঁতীবাজার, রায়সাহেব বাজার মোড় হয়েলক্ষ্মীবাজার বাহাদুর শাহ পার্কের পাশ ঘেঁষে সদরঘাট পৌঁছতে পাড়ি দিতে হয়প্রায় তিন কিলোমিটার পথ। শ্রমিকদের দেওয়া তথ্য মতে, প্রতিটি ঘোড়ার গাড়িদিনে ১৪ বার গুলিস্তান-সদরঘাট রুটে যাওয়া-আসা করে। সে হিসাবে এখানকারঘোড়াগুলো দিনে প্রায় ৪২ কিলোমিটার পথ হাঁটে। এই অমানবিক শ্রমকে ঘোড়ার কাঁধেগাধার বোঝা বলে জানান প্রাণী অধিকার নিয়ে কর্মরত বিশেষজ্ঞরা।বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পুরান ঢাকার ঘোড়ার গাড়িকে এখন আর 'ঐতিহ্য' বলার সুযোগনেই। লোভী মহাজনের খপ্পরে পড়ে এই প্রাণীগুলো চাহিদামাফিক খাবার ওচিকিৎসাসেবা পায় না। আর দিনভর ওদের পিঠে পড়ছে কোচোয়ানের বেতের বাড়ি।প্রাণীর প্রতি এই চরম অমানবিকতার বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার সময় এসেছে। এক্ষেত্রে সম্প্রতি পাস হওয়া প্রাণী কল্যাণ আইনের যথাযথ প্রয়োগ চান তারা।শ্রমজীবী প্রাণী দিয়ে অতিরিক্ত শ্রম হচ্ছে কি-না এ বিষয়ে দেশে কোনো নজরদারিনেই বলে জানান প্রাণী অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন স্ট্যান্ড ফরঅ্যানিমেলসের সাধারণ সম্পাদক মো. সাঈদ হোসেন। তিনি বলেন, 'প্রকৃতপক্ষে আমাদের দেশে প্রাণীপ্রেম নেই। প্রাণী নিয়েসচেতনতাও নেই। বিশেষ করে শ্রমজীবী প্রাণী নিয়ে সরকারের কোনো তদারকিই নেই।'সংশ্নিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রাজধানীর গুলিস্তান-সদরঘাট রুটেবর্তমানে ৬০টি গাড়ি চলাচল করে। তবে নানা কারণে প্রতিদিন ১০-১২টি গাড়ি বন্ধথাকে। কোচোয়ান, হেলপারের বেতন এবং দুই ঘোড়ার খাবার বাবদ প্রতিদিন ব্যয় হয়প্রায় এক হাজার ২০০ টাকা। সব খরচ বাদে দিনে গাড়িপ্রতি দেড় থেকে দুই হাজারটাকা আয় হয় মহাজনের।বৃহস্পতিবার দুপুরে সরেজমিন সদরঘাট থেকে গুলিস্তান পর্যন্ত ঘুরে দেখা যায়,১৫ থেকে ১৮ জন যাত্রী বহন করছে গাড়িগুলো। স্টিল-কাঠের মিশ্রণে তৈরি দুইচাকার গাড়ি এবং এর ওপর কোচোয়ান-হেলপারসহ ২০ জনকে কাঁধে বয়ে বেড়াচ্ছে দুটিঘোড়া। যদিও মহাজনদের দাবি, প্রতিটি গাড়ির ধারণক্ষমতা ১০-১২ জন। এত বোঝাকাঁধে বয়ে বেড়াতে গিয়ে ক্ষয়ে যায় ঘোড়াগুলোর পায়ের ক্ষুর। এ জন্য তাদের পায়েপরিয়ে দেওয়া হয় লাল রঙের নাল। এই রুটে যাত্রীপ্রতি ভাড়া ২০ টাকা। তবেবৃহস্পতিবারসহ বিশেষ মৌসুমে অতিরিক্ত যাত্রীর চাপ থাকলে ভাড়া দ্বিগুণ হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে সদরঘাট থেকে গুলিস্তান আসার পথে কথা হয় কোচোয়ান মো.জিসানের সঙ্গে। ব্যস্ত সড়কে ডানে-বাঁয়ে চলতে হিমশিম খাচ্ছিল ঘোড়াগুলো। একটুপরপরই জিসানের বেতের বাড়ি পড়ছিল ঘোড়ার পিঠে। এভাবে অমানবিকভাবে বেতের বাড়িদেওয়ার বিষয়ে কথা বললে তিনি জানান, ঘোড়াকে ইঙ্গিত করার এটাই একমাত্র উপায়।এটি ছাড়া ঘোড়া কথা শুনবে না। তিনি বলেন, 'আমরা ছোটকাল থেকে এই কাজে আছি।ঘোড়া কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হয় জানি।'চাঁনখারপুল এলাকায় মেয়র মোহাম্মদ হানিফ উড়াল সড়কের নিচে গিয়ে দেখা যায়,সড়কের পাশে রয়েছে সাতটি গাড়ি। কয়েকটি ঘোড়া উড়ালসড়কের নিচে খাবার খেতেব্যস্ত, কোনোটি আবার বিশ্রামে। পাশেই গাড়ির যন্ত্রাংশ মেরামত করছিল পাঁচশ্রমিক। ষোলো বছর বয়সী মো. হাসান জানায়, সে নিয়ন্ত্রণ করে একটি গাড়ি;অর্থাৎ সে একজন কোচোয়ান। হাসানের ভাষ্যমতে, দুটি ঘোড়া দিয়ে দিনে প্রতিটিগাড়ি ১৪ বার গুলিস্তান-সদরঘাট রুটে যাওয়া-আসা করে। তার এবং হেলপারের বেতন৪০০ টাকা করে। গাড়ির নানা যন্ত্রাংশ বিকল হয়ে পড়ায় ঘোড়াগুলো বিশ্রামে।প্রতিদিনই কোনো না কোনো গাড়ি বিকল থাকে। ফলে কয়েকটি ঘোড়া বিশ্রামের সুযোগপায়।ঢাকা ঐতিহ্যবাহী শিপন টমটমের মালিক আলী আজগরের আছে দুটি গাড়ি। তিনি বলেন,'প্রায় আড়াই লাখ টাকায় চারটি ঘোড়া কিনেছিলাম। আমার দুটি গাড়ি সকাল ৯টা থেকেসন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত যাত্রী বহন করে। দুই কর্মীর বেতন এবং ঘোড়ার খাবারবাবদ এক হাজার ২০০ টাকার মতো খরচ হয়। মাঝে মধ্যে বিয়েশাদির প্রোগ্রামে ডাকপড়লে ঢাকার বাইরেও যাওয়ার সুযোগ পায় ঘোড়াগুলো।'পিপল ফর অ্যানিম্যাল ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান স্থপতি রকিবুল হকএমিল বলেন, 'একটি যান্ত্রিক নগরে মোটরগাড়ির সঙ্গে এই পুরনো পেশিশক্তির বাহনকতটা যুক্তিযুক্ত, সেটি নিয়ে প্রশ্ন তোলার সময় এসেছে। ঘোড়ার শ্রম সরকারেরদায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষ প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের নজরদারিতে আনা জরুরি। তবে এমুহূর্তে ঘোড়ার শ্রম বন্ধ করলে এর সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যক্তিদের পরিবারেরবিষয়েও ভাবতে হবে।' তিনি আরও বলেন, ঘোড়ার গাড়ি নিয়ে অনেকে ঐতিহ্যের কথা বলেন। কিন্তু ঘোড়ারশ্রম নিয়ে অমানবিকতার বিষয়ে কেউ বলেন না। শহর এবং গ্রামে ঘোড়া দিয়ে অধিকযাত্রী বহন, অসুস্থ ও আহত ঘোড়া দিয়ে যাত্রী বহন, চিকিৎসার অভাব, মরণাপন্নঘোড়াকে রাস্তায় ফেলে চলে যাওয়ার মতো নির্মমতাও নীরবে ঘটে চলেছে।জানা গেছে, ঢাকার বাইরে কক্সবাজার ও কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতে বেশকিছু ঘোড়াবাণিজ্যিকভাবে ব্যবহূত হচ্ছে। তবে ওখানেও ঘোড়াগুলো নির্যাতনের শিকার।প্রাণীগুলো তাদের যোগ্য প্রতিদান পাচ্ছে না। গত ৭ জুলাই সংসদে পাস হয় 'প্রাণী কল্যাণ আইন ২০১৯'। পশুর প্রতি নিষ্ঠুরতাপ্রতিরোধে একশ' বছরের পুরনো আইন বাতিলের পর প্রণীত নতুন আইনে প্রাণী হত্যা ওনির্যাতনের অপরাধে কারাদণ্ড ও জরিমানার বিধান করা হয়।বিশ্ব প্রাণী দিবস আজ : ৪ অক্টোবর বিশ্ব প্রাণী দিবস। বাংলাদেশে সরকারিউদ্যোগে এ দিবসে কোনো আয়োজন নেই। তবে পিপল ফর অ্যানিম্যাল ওয়েলফেয়ারফাউন্ডেশন দিবসটি পালনের উদ্যোগ নিয়েছে। আজ সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর ১২টাপর্যন্ত জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মনববন্ধন কর্মসূচি পালিত হবে।নির্যাতিত প্রাণি বিশেষ করে ঘোড়া এবং ঘোড়ার শ্রমের ওপর প্রাণী কল্যাণ আইনেরনীতিমালা গ্রহণ এবং প্রশাসনের নজরদারির দাবিতে এ কর্মসূচির আয়োজন করাহয়েছে বলে জানা গেছে।
বিশ্ব প্রাণী দিবস
গোয়েন্দা নজরদারিতে পেঁয়াজ মজুদদাররা
প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০১৯ | ১৩:১৮
পেঁয়াজের বাজার স্বাভাবিক রাখতে 'নরম-গরম' কৌশলে এগোচ্ছে প্রশাসন। পেঁয়াজেরদাম নিয়ে কারসাজি করা ব্যবসায়ীদের রাখা হয়েছে গোয়েন্দা নজরদারিতে। যারাঅসৎ উদ্দেশ্যে পেঁয়াজ মজুদ করেছে, তাদের বিরুদ্ধেও তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।আর যারা সৎভাবে ব্যবসা করতে চান, তাদের পেঁয়াজ আমদানিতে উৎসাহিত করতে সুদেরহার সর্বোচ্চ ৯ শতাংশ নির্ধারণ করে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। পেঁয়াজআমদানির ঋণপত্র (এলসি) খুলতে মার্জিনের হারও রাখতে বলা হয়েছে নূ্যনতমপর্যায়ে। এদিকে, অসৎ ব্যবসায়ীদের কঠোর বার্তা দিতে চট্টগ্রামের আমদানিকারক ওআড়তদারদের নিয়ে এরই মধ্যে বৈঠক করেছে প্রশাসন। বৈঠক হয়েছে কক্সবাজারেও। গতএক মাসে বিদেশ থেকে কে, কী পরিমাণ পণ্য এনেছেন- সেই তথ্য চাওয়া হচ্ছেআমদানিকারকদের কাছ থেকে। আবার কখন কার কাছ থেকে কী দামে কত পণ্য ক্রয় করাহয়েছে, তা জানতে চাওয়া হচ্ছে আড়তদারদের কাছ থেকে। তথ্য চাওয়া হচ্ছে টেকনাফস্থলবন্দর ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর কর্তৃপক্ষের কাছ থেকেও। প্রশাসনিক এইঅ্যাকশনের পাশাপাশি গতকাল বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের পাইকারি মোকামচাক্তাই-খাতুনগঞ্জের ৪০টি গুদামে অভিযান চালিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসবগুদামে পর্যাপ্ত পেঁয়াজের মজুদ আছে বলেও নিশ্চিত হয়েছে প্রশাসন।জানতে চাইলে চট্টগ্রামের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক নাসরিন পারভীন তিরবীজিবলেন, 'চট্টগ্রামে পেঁয়াজের ব্যবসার সঙ্গে জড়িত বড় ব্যবসায়ীদের নিয়ে এরইমধ্যে বৈঠক করেছি আমরা। সৎভাবে যারা ব্যবসা করেন, তাদের অভয় দিয়েছি। আরযারা কারসাজির চিন্তা করছেন, তাদের দিয়েছি কঠিন বার্তা। বড় ব্যবসায়ীদের কাছথেকে পেঁয়াজ কেনাবেচার তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। যারা পণ্য গুদামজাত করেছে,তাদের ব্যাপারেও তথ্য নিচ্ছে গোয়েন্দারা। চট্টগ্রামে পাঁচ শতাধিক গুদামআছে। কোথায় কার গুদাম আছে, সবকিছুই জানা হয়েছে আমাদের।' ব্যবসায়ীদের বার্তা দিতে টেকনাফ স্থলবন্দরেও বৈঠক করেছেন কক্সবাজারের জেলাপ্রশাসক মোহাম্মদ কামাল হোসেন। তিনি বলেন, 'মিয়ানমার থেকে টেকনাফ স্থলবন্দরদিয়ে ১০-১২ ব্যবসায়ী পেঁয়াজ আমদানি করেন। গত এক মাসের আমদানি মূল্যপর্যালোচনা করে আমরা নিশ্চিত হয়েছি, মিয়ানমার থেকে আনা পেঁয়াজের দাম ৪২থেকে ৪৩ টাকার মধ্যে। পরিবহনসহ সবকিছু হিসেবে আনলেও বাজারে এ পেঁয়াজ ৫০থেকে ৫৫ টাকার মধ্যে থাকার কথা। এর বাইরে যারা মুনাফা করেছেন, তাদের সবাইকেআইনের আওতায় আনা হবে। এ জন্য সক্রিয় আছে গোয়েন্দা সংস্থা।'জানা গেছে, ঢাকা, চট্টগ্রাম, যশোর, সাতক্ষীরা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ওকক্সবাজারের ৩০-৪০ ডজন ব্যবসায়ীর নিয়ন্ত্রণে আছে পেঁয়াজের বাজার। ভারতরফতানি বন্ধ করলেও সেখান থেকে আনা পেঁয়াজ এখনও আছে এসব ব্যবসায়ীর গুদামে।মিয়ানমার থেকে আমদানীকৃত পেঁয়াজেরও মজুদ আছে তাদের কাছে। এদিকে সমকালের টেকনাফ প্রতিনিধি আবদুর রহমান জানান, মিয়ানমার থেকে এখনপ্রতিদিন গড়ে ৫০০ টনেরও বেশি পেঁয়াজ আসছে। গত চার দিনে প্রায় আড়াই হাজার টনপেঁয়াজ এসেছে দেশটি থেকে। এর আগে সেপ্টেম্বর মাসে মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজএসেছে তিন হাজার ৫৭৩ টন। এ রুট দিয়ে আমদানি করা পেঁয়াজের ৮০ শতাংশই আছে১০-১২ ব্যবসায়ীর কাছে। গতকাল এক দিনে সর্বোচ্চ ৮০৫ টন পেঁয়াজ এসেছেমিয়ানমার থেকে। এখন পর্যন্ত সেখান থেকে আসা পেঁয়াজের ৯০ শতাংশই আমদানিকরেছেন এমএস ট্রেডিংয়ের মালিক মো. হাসেম, যদু চন্দ্র দাশ, নুরুল কায়েসসাদ্দাম, মোহাম্মদ জব্বার, জিন্নাহ অ্যান্ড ব্রাদার্সের মালিক শওকত আলম,এশিয়া এন্টারপ্রাইজের সাইফুদ্দিন, মো. নাছির, মোহাম্মদ কামাল, মোহাম্মদকাদের, কেএম ট্রেডিংয়ের মালিক আলম বাহাদুর, গ্লোবাল লজিস্টিকইন্টারন্যাশনালের শওকত আলম, আরাফাত, মোহাম্মদ শুক্কুর, মোহাম্মদ কামরুল,আবু আহমদ ও মহসিন। চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে পেঁয়াজের ব্যবসা করা শীর্ষ আড়তদাররা হচ্ছে মেসার্সহাজি অছিউদ্দিন সওদাগর, মেসার্স আবদুল আউয়াল, মেসার্স শাহজালাল ট্রেডার্স,মেসার্স বাগদাদী করপোরেশন, এসএন ট্রেডার্স ও সোনালী ট্রেডার্স। এ ছাড়া ঢাকাট্রেডার্স, হাফেজি করপোরেশন, জেনি এন্টারপ্রাইজ, এনএস ইন্টারন্যাশনাল,চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবনগর এলাকার মেসার্স টাটা ট্রেডার্স, সাতক্ষীরারমেসার্স দীপা এন্টারপ্রাইজ ও রিপা ট্রেডার্স পেঁয়াজ বেচাকেনায় বড় ভূমিকারাখছে বলে নিশ্চিত হয়েছে প্রশাসন। জানতে চাইলে কক্সবাজারের শীর্ষ পেঁয়াজ আমদানিকারক এমএইচ ট্রেডিংয়ের মালিকমো. হাসেম বলেন, 'আমরা পেঁয়াজ এনেছি বলে বাজার এখন স্বাভাবিক হচ্ছে। সরকারথেকে সাপোর্ট পেলে আমদানি আরও বাড়বে। আর বাধা পেলে আতঙ্কে আর কেউ পেঁয়াজআমদানি করবে না।' টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়ে এককভাবে সর্বোচ্চ এক হাজার টনেরওবেশি পেঁয়াজ আমদানি করেছেন মো. হাসেম। শীর্ষ আরেক পেঁয়াজ আমদানিকারক শওকত আলম বলেন, 'আমরা নূ্যনতম লাভে পেঁয়াজবিক্রি করেছি। কারসাজি হলে পাইকারি মোকামে হয়েছে।' তবে পাইকারি মোকামচাক্তাই-খাতুনগঞ্জ আড়তদার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম বলেন,'আমদানিকারকরা বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রি করতে শর্তারোপ করেছেন আমাদের। আমরা৫০ পয়সা কমিশনে পেঁয়াজ বিক্রি করতে রাজি আছি। কিন্তু তারা বিক্রিমূল্য বেশিচাওয়ায় আমাদেরও বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রি করতে হয়েছে। সরকার নজরদারিবাড়ানোর কারণে এখন কিছুটা নমনীয় হয়েছেন তারা। যার কারণে বাজারও আগের চেয়েঅনেক স্বাভাবিক হয়েছে। আমদানি বাড়লে দাম আরও কমবে।' চাক্তাই-খাতুনগঞ্জে ৪০ গুদামে অভিযান :পেঁয়াজের বাজার স্বাভাবিক করতে গতকালফের পাইকারি মোকাম চাক্তাই ও খাতুনগঞ্জে অভিযান চালিয়েছেন ভ্রাম্যমাণআদালত। খাতুনগঞ্জ ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ছৈয়দ ছগীর আহমদকে সঙ্গেরেখে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলাম এ অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানপ্রসঙ্গে তৌহিদুল ইসলাম বলেন, 'ব্যবসায়ীদের কেউ কেউ পেঁয়াজের সংকটের কথাবলেছেন। কিন্তু গুদামে গিয়ে আমরা পর্যাপ্ত মজুদ দেখতে পেয়েছি। আড়তদারদেরবলেছি, আমদানিকারকদের কাছ থেকে এসব পেঁয়াজ তারা কত টাকায় কিনছে, সেটির রসিদযাতে সঙ্গে রাখেন। বাজারদর মোটামুটি স্বাভাবিক থাকায় জরিমানা না করে সতর্ককরে এসেছি সবাইকে।'
পেঁয়াজ
বিএনপি হতাশ সতর্ক আ'লীগ
প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০১৯ | ১৩:২০
কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন নিয়ে সরকারের 'অনমনীয়'মনোভাবে হতাশ বিএনপি। আওয়ামী লীগ নেতারাও এ নিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনোপ্রতিক্রিয়া দেখাতে নারাজ। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনারনির্দেশনার পর বক্তৃতা-বিবৃতির ক্ষেত্রেও সতর্ক অবস্থানে চলে গেছেনক্ষমতাসীন দলের নেতারা। নীতিনির্ধারক নেতারাও এ নিয়ে প্রকাশ্যে কথাবার্তাবলছেন না।অন্যদিকে বিএনপি মনে করছে, প্রধানমন্ত্রীর কঠোর মনোভাবের পর সরকারের সঙ্গেঅপ্রকাশ্য কোনো 'সমঝোতা' করেও খালেদা জিয়ার জামিন পাওয়া সম্ভব নয়। এঅবস্থায় আন্দোলন ছাড়া তাদের সামনে আর কোনো পথও খোলা নেই। আর আন্দোলন করতেহলে দলকে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী করে তুলতে হবে। দলকে শক্তিশালী করে রাজপথেনামার পক্ষে দলের নীতিনির্ধারকরাও। পাশাপাশি তারা চেষ্টা করছেন জাতীয়ঐক্যফ্রন্টের পরিধি বাড়াতে। এক্ষেত্রে সরকারবিরোধী বিভিন্ন দাবি-দাওয়ারমধ্যে অন্যতম দাবি থাকবে খালেদা জিয়ার মুক্তি। দুর্নীতির দুই মামলায় দ নিয়ে কারাবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াবর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ)হাসপাতালের প্রিজন সেলে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হারুনুররশীদসহ তিনজন সংসদ সদস্য গত মঙ্গলবার সেখানে তার সঙ্গে কথা বলেন। পরে তিনিসাংবাদিকদের জানান, জামিন পেলে খালেদা জিয়া উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশেযাবেন। বুধবার দলের আরও চার এমপি খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করার পর তারজামিন বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর 'পদক্ষেপ' কামনা করেন। একই দিন বিষয়টি নিয়েতারা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে কথাবলেন।এর পর থেকেই খালেদা জিয়ার জামিনের প্রসঙ্গটি নিয়ে দেশজুড়ে নানা আলোচনা ওগুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে। তবে বুধবার রাতে গণভবনে আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গেবৈঠককালে প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা সাফ জানিয়ে দেন, খালেদাজিয়ার বিষয়ে কোনো আপস করা হবে না। একই সঙ্গে এ নিয়ে কোনো কথাবার্তা না বলারজন্য দলের নেতাদের সতর্কও করেন তিনি। এমন প্রেক্ষাপটে এ নিয়ে সরকারেরসঙ্গে বিএনপির প্রকাশ্য কিংবা অপ্রকাশ্য সমঝোতার আর কোনো সম্ভাবনা নেই বলেইমনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্নেষকরা। এদিকে, প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় প্রধানের কঠোর মনোভাবের বিষয়টি জানতে পেরেআওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারাও বক্তৃতা-বিবৃতির ক্ষেত্রে সতর্ক হয়ে গেছেন।এ নিয়ে এর আগে দলের নেতাদের একেক জন একেক রকম বক্তব্য দিচ্ছিলেন। তবেগতকাল বৃহস্পতিবার একাধিক জায়গায় এ প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে সব নেতাইবিষয়টিকে 'আদালতের সিদ্ধান্তের' ওপর ছেড়ে দিয়েছেন। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরগতকাল সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, খালেদা জিয়া জামিন পেলে উন্নতচিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে চান, তা জানানোর পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকোনো বার্তা দেননি। বিএনপি যেটা চায়, সে বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কোনোনির্দেশও পাননি তিনি। তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার জামিনের বিষয়টি সম্পূর্ণআদালতের এখতিয়ার। দলের প্রচার সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ সচিবালয়ে সাংবাদিকদেরসঙ্গে মতবিনিময়কালে বলেছেন, খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়টি পুরোপুরি আইনিবিষয়। কারণ তিনি দুর্নীতি মামলায় শাস্তিপ্রাপ্ত আসামি। রাজনৈতিক কারণেবন্দি কাউকে আন্দোলনের মাধ্যমে মুক্ত করার বিষয় থাকে। সুতরাং খালেদা জিয়াকেমুক্ত করতে হলে আইনের মাধ্যমেই করতে হবে। বুধবার রাতের দলীয় নেতাদের সঙ্গেপ্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে খালেদা জিয়ার জামিন বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি বলেওদাবি করেছেন আওয়ামী লীগের এই মুখপাত্র।অন্যদিকে, দলীয় চেয়ারপারসনের জামিন প্রশ্নে সরকারের অনমনীয় মনোভাবে অনেকটাইহতাশ বিএনপির নেতাকর্মীরা। সেইসঙ্গে দলের নেতারা এ নিয়ে হঠাৎ কেন 'সরবভূমিকা' নিলেন তা নিয়েও নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে বিএনপিতে। এই প্রক্রিয়াসত্যিকার অর্থেই খালেদা জিয়ার জামিন প্রসঙ্গে তাদের 'আন্তরিকতা' নাকি এরপেছনে অন্য কোনো উদ্দেশ্য রয়েছে, তা নিয়েও সন্দিহান অনেকেই। আবার এইপ্রক্রিয়ার সঙ্গে দলের সর্বোচ্চ হাইকমান্ড বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানতারেক রহমান জড়িত রয়েছেন বলেও মনে করছেন কেউ কেউ।কয়েকজন নেতা বলছেন, বিএনপি নেতারা এর আগে খালেদা জিয়ার জামিন নিয়ে একেকসময়ে একেক রকম বক্তব্য দিয়েছেন। যা জাতিকে যেমন বিভ্রান্ত করেছে, ঠিক তেমনিএই বক্তব্যের সঙ্গে খালেদা জিয়ার 'আপসহীন' রাজনীতিরও কোনো মিল নেই। এর পরও'শারীরিক অসুস্থতার' কারণে তাকে বিদেশ যাওয়ার জন্য রাজি করানো হয়েছে বলেবিশ্বাস করতে শুরু করেছিলেন কোনো কোনো নেতা। কিন্তু দলের সাত এমপিরদু'দিনের দৌড়ঝাঁপ শেষে সরকারের কঠোর অবস্থানে রাজনৈতিক চিত্র পুরোটাইপাল্টে গেছে। এতে হতাশ হয়ে পড়ছেন দলটির নেতাকর্মীরা।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য সমকালকে বলেছেন,একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষ হয়েছে মাত্র নয় মাস আগে। আর বিএনপির সংসদসদস্যরা সংসদে যোগ দিয়েছেন ছয় মাস হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে দলীয় এমপিরাখালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করেননি। হঠাৎ করে কেন এবং কোন উদ্দেশ্যে অসুস্থচেয়ারপারসনের সঙ্গে তারা দেখা করলেন এবং কেনই বা তার চিকিৎসার জন্য 'বিদেশপাঠানো' সংক্রান্ত বক্তব্য দিলেন, তা তাদের জানা নেই। কার পরামর্শে তারাএটা করেছেন- সে সম্পর্কেও তাদের কোনো ধারণা নেই। তবে গতকাল বৃহস্পতিবার বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলেরঅবস্থান স্পষ্ট করেছেন। তিনি বলেছেন, খালেদা জিয়া কারও অনুকম্পায় মুক্তিচান না। আইনি লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে খালেদা জিয়া জামিন না পেলে আন্দোলনের মধ্যদিয়ে তাকে মুক্ত করা হবে। তার ওই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে নেতাকর্মীদের মধ্যেঅস্পষ্টতা দূর হয়েছে। তবে কবে নাগাদ আন্দোলন হবে আর কবে খালেদা জিয়া মুক্তিপাবেন, তা নিয়ে সন্দিহান তারা। বিএনপি চেয়ারপারসনের মুক্তি আন্দোলনের বিষয়ে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড.খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলন এখন সারাদেশেরনেতাকর্মীদের দাবি। তারা আন্দোলনের মধ্যেই আছেন। এই আন্দোলনকে আরও জোরদারকরা হবে।জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট ও জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট মামলায় দি ত ৭৩ বছর বয়সীসাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া গত বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৮ মাসের বেশিসময় কারাগারে রয়েছেন। গত ১ এপ্রিল চিকিৎসার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবমেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে তাকে ভর্তি করা হয়।
খালেদা জিয়ার মুক্তি
হাসিনা-মোদি বৈঠক ঘিরে আগ্রহ
প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০১৯ | ১৩:২৮
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদির মধ্যে দিল্লিতে আগামীকাল শনিবারঅনুষ্ঠিতব্য বৈঠক নিয়ে ব্যাপক আগ্রহের সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে দীর্ঘদিনধরে আলোচনায় থাকা তিস্তাসহ অভিন্ন নদীর পানিবণ্টন চুক্তি ও আসামের জাতীয়নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি) ইস্যু নিয়ে কার্যকর আলোচনা হবে বলে প্রত্যাশা করছেনকূটনৈতিক বিশ্নেষকরা। দুই প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ-ভারতদৃঢ় বন্ধুত্বের সম্পর্ক আরও এক ধাপ এগিয়ে যাবে বলেও প্রত্যাশা তাদের। সাবেক পররাষ্ট্র সচিব ওয়ালিউর রহমান সমকালকে বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যেযে ঐতিহাসিক বন্ধুত্ব সময়ের পরীক্ষায় বার বার উত্তীর্ণ হয়েছে। অতিসম্প্রতি নিউইয়র্কে মহাত্মা গান্ধীর সার্ধশত জন্মবার্ষিকী উপলক্ষেজাতিসংঘের ইকোসক চেম্বারে ভারতীয় মিশনে যে অনুষ্ঠান হয়, সেখানে ছয়জনসরকারপ্রধানের মধ্যেও আমন্ত্রিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনিসেখানে অসাধারণ বক্তব্যও রেখেছেন। এখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেআমন্ত্রণ জানিয়ে বিশেষ সম্মান দেওয়া হয়েছে। অতএব বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে দৃঢ় বন্ধুত্বের পাশাপাশি পারস্পরিক মর্যাদারআদান-প্রদানের সম্পর্কও গভীর। এ কারণেই বাংলাদেশ ও ভারতের প্রধানমন্ত্রীরমধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক সব সময়ই তাৎপর্যপূর্ণ। গত বুধবার সংবাদ সম্মেলনে দুই প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের আলোচ্যসূচি সম্পর্কেবিস্তারিতভাবেই তুলে ধরেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তিনিজানান, এ বৈঠকে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের সব বিষয়নিয়েই আলোচনা হবে। তবে আলোচনায় ১১টি বিষয় প্রধান্য পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।বৈঠকে অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে সীমান্তে হত্যা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা ওচোরাচালান বন্ধের বিষয়ে সহযোগিতা বৃদ্ধি, উভয় দেশের মধ্যে জনযোগাযোগবৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্নমুখী উদ্যেগ গ্রহণ এবং বাংলাদেশের নাগরিকদের ভারতীয়ভিসা থাকা সাপেক্ষে আরও অবাধ যাতায়াতের ব্যবস্থা গ্রহণ, সন্ত্রাসবাদ রোধএবং আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার লক্ষ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধি,সার্বিক বাণিজ্যিক ও আর্থিক সহযোগিতা বৃদ্ধি, বাংলাদেশের রফতানি পণ্যের ওপরআরোপিত অ্যান্টি-ডাম্পিং ও অ্যান্টি-সারকামভেশন শুল্ক্ক প্রত্যাহার নিয়েআলোচনা হবে। ওয়ালিউর রহমান বলেন, এবারের বৈঠকে বিশেষভাবে ভারতের আট বিলিয়ন ডলারের লাইনঅব ক্রেডিট আরও সহজে অবমুক্ত (ডিসবার্সমেন্ট) করা যায় তা অবশ্যই প্রাধান্যপাবে বলে আশা করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি দু'দেশের জনগণের ভেতরে আন্তঃসম্পর্কবৃদ্ধির প্রসঙ্গটিও গুরুত্ব পাবে। তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি নিয়ে এর আগেওপ্রতিশ্রুতি এসেছে। আলোচনা হয়েছে। এ সংকটের সমাধান কোথায় আটকে আছে সেটাওসবারই জানা। অতএব এবারের আলোচনায় তিস্তা নিয়ে চূড়ান্ত সমাধান না হলেওঅভিন্ন নদীর পানি বণ্টন চুক্তির বিষয়টিতে আরও অগ্রগতি হবে, সেটা নিঃসন্দেহেবলা যায়। তিনি বলেন, এনআরসির বিষয় নিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী এর আগেই নিউইয়র্কেপ্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জানিয়েছেন, এটা ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়, এ নিয়েবাংলাদেশের চিন্তার কিছু নেই। এবারের বৈঠকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী সেইবক্তব্যটিই আরও স্পষ্ট ও জোরালো করবেন বলেই প্রত্যাশা। সাবেক রাষ্ট্রদূত হুমায়ুন কবীর সমকালকে বলেন, দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীরমধ্যে এটা নিয়মিত বৈঠক। বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের ভেতরে নিয়মিত বিরতিতেইদু'দেশের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে এবং উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি পর্যায়ে বৈঠকহয়। এ বৈঠকের মধ্য দিয়ে নানা বিষয়ে আলোচনা হয়, অনেক বিষয়ে অগ্রগতি হয়। বেশকিছু সমঝোতা স্মারক ও চুক্তি স্বাক্ষর হয়। এগুলো দু'দেশের ভেতরে সহযোগিতারসম্পর্ককে এগিয়ে নেয়। তবে যে ইস্যুগুলোতে আলোচনার ব্যাপারে অনেকের কৌতূহল ওআগ্রহ রয়েছে সেই তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি, রোহিঙ্গা সংকট প্রসঙ্গ কিংবাসাম্প্রতিক সময়ের এনআরসি প্রসঙ্গ কার্যকর নিয়ে আলোচনা হবে, সেই প্রত্যাশাআছে। তবে এ আলোচনা থেকে সুনির্দিষ্টভাবে অগ্রগতির বিষয় নিয়ে এখনই কিছু বলাযাবে না। এ জন্য বৈঠক পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। আগামীকাল সকালে দিল্লির হায়দরাবাদ হাউসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গেভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বৈঠক হবে। এ বৈঠকে বাংলাদেশ ও ভারতেরমধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে ১০ থেকে ১২টি চুক্তি স্বাক্ষর হতে পারে বলেওসাংবাদিকদের জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন।
হাসিনা-মোদি বৈঠক
ঢাকাই মসলিন ফের রফতানি বাণিজ্যে
প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০১৯ | ১৩:২৯ | আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০১৯ | ১৩:৩৭
রফতানি বাণিজ্যে আবার যুক্ত হচ্ছে ঐতিহ্যবাহী ঢাকাই মসলিন। দামি পোশাকহিসেবে বিশ্বজোড়া খ্যাতি রয়েছে এই মসলিনের। রাজপরিবারসহ অভিজাত শ্রেণিরপোশাক হিসেবে বিশেষ কদর পাওয়া মসলিনের বাণিজ্যিক উৎপাদনের উদ্যোগ নেওয়াহয়েছে। প্রায় সোয়া দুইশ' বছর পর ঢাকাই মসলিনের আবার বাণিজ্যিক উৎপাদনেরমাধ্যমে ফ্যাশন জগতে নতুন অধ্যায়ের সূচনা হতে যাচ্ছে। হাল ফ্যাশনে বিশ্ববাজারে এ ধরনের মিহি কাপড়ের চাহিদা বেড়েছে ব্যাপক। মসলিনতৈরি হতো সবচেয়ে মিহি ৩০০ কাউন্টের সুতা দিয়ে। বিশেষ ধরনের ফুটি কার্পাসতুলা ছাড়া এতটা সূক্ষ্ণ সুতা হয় না। হারিয়ে যাওয়া সেই ফুটি কার্পাসের জাতশনাক্ত করা হয়েছে। এখন পরীক্ষামূলক চাষ হচ্ছে ফুটি কার্পাসের। ফুটিকার্পাসের তুলায় তৈরি ৩০০ কাউন্টের সুতায় মাত্র ১৭০ গ্রাম ওজনের একটি শাড়িপ্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উপহার দিয়েছে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়। নিজস্বসম্পদ হিসেবে ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) সনদ পেতে আন্তর্জাতিক মেধাস্বত্বসংস্থা ডব্লিউআইপিও বরাবর আবেদনও করা হয়েছে এরই মধ্যে। তৈরি পোশাক পণ্যের দ্বিতীয় প্রধান রফতানিকারক হিসেবে বাংলাদেশ এখনবিশ্ববাজারে মর্যাদা ভোগ করছে। মোট রফতানি আয়ে পোশাকের অবদান প্রায় ৮৫শতাংশ। এই হার প্রতি মাসেই বাড়ছে। বিশ্ববাণিজ্যে বাংলাদেশের এ অবস্থানেরহাতেখড়ি হয়েছিল এই মসলিন দিয়েই। ব্রিটিশ শাসনকালে সোনারগাঁর আড়ং থেকে ৩ লাখ৫০ হাজার টাকার মসলিন রফতানি দিয়ে শুরু হয়। ইউরোপ, আরব, আফ্রিকাসহ বিভিন্নদেশে রাজকীয় পোশাক হিসেবে ঢাকাই মসলিনের ব্যাপক কদর তৈরি হয়। তবেসারাবিশ্বে কৌলীন্য ছড়ানো ঢাকাই মসলিন শেষ পর্যন্ত নিজের কুল রক্ষা করতেপারেনি। প্রায় সোয়া দুইশ' বছর আগে মসলিনের জৌলুস ও বাজার খোয়া যায়। একপর্যায়ে বন্ধ হয়ে যায় উৎপাদন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ আগ্রহে আবার ফিরেছে মসলিন। মসলিনের সুতাতৈরির প্রযুক্তি ও মসলিন কাপড় পুনরুদ্ধার নামে একটি প্রকল্প নিয়েছে বস্ত্র ওপাট মন্ত্রণালয়। 'বাংলাদেশের সোনালি ঐতিহ্য মসলিনের সুতা তৈরির প্রযুক্তি ওমসলিন কাপড় পুনরুদ্ধার' প্রকল্পের অধীনে মসলিন কাপড় তৈরির কাজ দ্রুত এগিয়েচলছে। বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। তাঁত বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, উইভিংয়ের অগ্রগতি ৮০ভাগ। মসলিনের তুলা ও সুতা শনাক্তকরণ-সংক্রান্ত গবেষণা কার্যক্রমের অগ্রগতি২০ এবং স্পিনিংয়ের অগ্রগতি ৫৫ ভাগ এগিয়েছে। তাঁত বোর্ডের চেয়ারম্যানেরনেতৃত্বে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়, তুলাউন্নয়ন বোর্ড, বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস করপোরেশন-বিটিএমসি এবং বাংলাদেশতাঁত বোর্ডের সমন্বয়ে গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটি গবেষণা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের পর গত বছরের জুনে প্রকল্পটির কার্যক্রমশুরু হয়। আগামী ডিসেম্বরে প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ের কাজ শেষ হবে। শাড়িছাড়াও আন্তর্জাতিক চাহিদার সঙ্গে মিল রেখে ফ্যাশনদুরস্ত পোশাক করা গেলেবর্তমানের মৌলিক মানের পোশাক থেকে উচ্চমূল্যের পোশাক রফতানির সুযোগ নেওয়াসম্ভব হবে। রফতানি পণ্যে বৈচিত্র্য আসবে। স্থানীয় বাজারেও মিলবে মসলিন। তবেদাম কিছুটা বেশিই হবে। একটি মসলিন শাড়ির দাম পড়বে কমপক্ষে ৫০ হাজার টাকা। জানতে চাইলে তাঁত বোর্ডের পরিকল্পনা এবং বাস্তবায়ন বিভাগের প্রধান মো. আয়ুবআলী সমকালকে বলেন, বাণিজ্যিক ভিত্তিতে মসলিন উৎপাদনের জন্য দেশেরউদ্যোক্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন তারা, যাতে মসলিনের উৎপাদন কৌশল, তুলাসহকাঁচামাল সম্পর্কে তাদের সম্যক অবহিত করা যায়। কারণ, সরকার মসলিনকেবাণিজ্যিক উৎপাদনের উপযোগী পর্যায়ে নিয়ে আসছে। তবে রফতানি বাণিজ্য কিংবাদেশের বাজারে মসলিনের বাণিজ্যিক সরবরাহের কাজটি উদ্যোক্তারাই করবেন। তিনিজানান, আগের সেই অবিকল ঢাকাই মসলিন উৎপাদন সম্ভব। সম্পূর্ণ হাতে তৈরি হওয়ায়আপাতত একটা মসলিন শাড়ির মূল্য পড়বে ৫০ হাজার টাকার মতো। অবশ্য উৎপাদনদক্ষতা বাড়লে ব্যয় কমে আসবে। বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু হলে রফতানিতে উচ্চমূল্যের একটি পণ্য যুক্ত হবে। আয় বাড়বে বড় অঙ্কে। সূত্র জানিয়েছে, মসলিন বিলুপ্তির সঙ্গে সঙ্গে উৎপাদন প্রযুক্তি, মসলিনতৈরির বিশেষ তুলা গাছ হারিয়ে যায়। ইতিহাস ঘেঁটে গবেষণার পর মসলিনের সুতারজন্য উপযোগী তুলা গাছ ফুটি কার্পাস শনাক্ত করা হয়েছে। গাছটির একটি নমুনাস্কেচ তৈরি করে অনুরূপ গাছ খুঁজে বের করতে পার্বত্য চট্টগ্রাম, গাজীপুরসহদেশের বিভিন্ন বনবাদাড়ে ৫০০ শিক্ষার্থীকে পাঠানো হয়। অনেক খোঁজাখুঁজির পরকাপাসিয়ায় ফুটি কার্পাসের সন্ধান পাওয়া যায়। পরে চাষ শুরু হয়। বছরে দু'বারফলন পাওয়া যাবে ফুটি কার্পাস থেকে। ঠিক মসলিনের কারিগর না পাওয়ায় আদি-খাদিরকারিগরদের এনে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। জাপানের তায়ামো বিশ্ববিদ্যালয়েরএকদল গবেষক ঢাকাই মসলিন বিষয়ে গবেষণা অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে গেছেন। জিআই পণ্যহিসেবে ঢাকার দাবির কারণে তারা মসলিন থেকে সরে আসেন। এরই মধ্যে জিআই সনদেরজন্য আবেদন করেছেন তারা। প্রকল্প এগিয়ে নিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োলজিক্যাল সায়েন্সেরপরিচালক অধ্যাপক মনজুর হোসেনের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়।জানতে চাইলে অধ্যাপক মনজুর হোসেন সমকালকে বলেন, কাজে নেমে তারা দেখেন,আদি-আসল মসলিনের নমুনা কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। লন্ডনের ভিক্টোরিয়াঅ্যান্ড অ্যালবার্ট মিউজিয়ামে মসলিনের খোঁজে গিয়েছিলেন তারা। সেখানে ঢাকাইমসলিন পাওয়া গেছে। ভিক্টোরিয়া অ্যান্ড অ্যালবার্ট মিউজিয়াম কর্তৃপক্ষবাংলাদেশকে নমুনা দিয়ে সহযোগিতা করেছে। আদি মসলিন যে তুলার সুতায় তৈরি হতোসেই ফুটি কার্পাস উদ্ধার করা হয়েছে। অধ্যাপক মনজুর হোসেনের মতে, রফতানিমুখীতৈরি পোশাক খাতে এখন তুলার যে বিশাল আমদানি চাহিদা তা উন্নত দেশি ফুটিকার্পাস দিয়েই মেটানো সম্ভব হবে। কারণ, উচ্চমূল্যের পোশাক উৎপাদনে এ ধরনেরতুলা খুবই উপযোগী। তবে এই প্রত্যাশার বিপরীতে কিছুটা ভিন্নমত দিয়েছেন বেসরকারি গবেষণা সংস্থাপিআরআইর নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর। সমকালকে তিনি বলেন, এ ধরনেরউদ্যোগ জাতির জন্য সুখবর। বৈচিত্র্যহীন রফতানিমুখী তৈরি পোশাক পণ্যেবৈচিত্র্য আসবে। মূল্য সংযোজিত পণ্যের মাধ্যমে রফতানি বাণিজ্যে বড় ধরনেরসুবিধা করে নিতে পারবে বাংলাদেশ। সমস্যা হচ্ছে, সরকারি খাতে যে কোনোউদ্যোগেরই সফলতা নিয়ে সংশয় থাকে। বেসরকারি খাতকে সম্পৃক্ত না করলে এ উদ্যোগশেষ পর্যন্ত কতটা সফল হবে তা নিয়ে সন্দেহ আছে। তিনি বলেন, গবেষণা ও উৎপাদনদুই পর্যায়েই বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তাদের সম্পৃক্ত করা গেলে খুব সফলভাবেঢাকাই মসলিন আবার বিশ্বজয় করতে পারবে। উচ্চমূল্যের পোশাক উৎপাদনের মাধ্যমেরফতানি বাণিজ্যে শক্তিশালী অবস্থান করে নিতে পারবে বাংলাদেশ।
নতুন দিন নতুন স্বপ্ন
টপ টেন অধরা
প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০১৯ | ১৩:৩৫ | আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০১৯ | ২১:৩৩
হঠাৎ 'ক্যাসিনো-ঝড়ে' লণ্ডভণ্ড অনেকের সাজানো ঘর। তবে এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরেরয়েছেন অনেকে। বিশেষ করে ক্যাসিনো-কাণ্ডে আলোচিত 'টপ টেনের' টিকিটি স্পর্শকরা যায়নি। 'ক্যাসিনো-গুরু' ও যুবলীগ দক্ষিণের সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরীসম্রাট এবং তার ঘনিষ্ঠদের এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি আইন-শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনী। যদিও দীর্ঘদিন ধরে তারাই রাজধানীর ক্লাবপাড়ায় ক্যাসিনোব্যবসা চালিয়ে কোটি কোটি টাকার বিত্তবৈভবের মালিক হয়েছেন।পুলিশের কিছু সদস্যের যোগসাজশে ক্যাসিনো কারবার নির্বিঘ্নে চালিয়ে আসছিল'টপ টেন'। তবে যুবলীগ দক্ষিণের বহিস্কৃত সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদভূঁইয়া, 'ঠিকাদার মোগল' জি কে শামীম ও মোহামেডান ক্লাবের সভাপতি লোকমানহোসেন ভূঁইয়াসহ বেশ কয়েকজন গ্রেফতারের পর এই ১০ রাঘববোয়াল গা-ঢাকা দিয়েছেন।বন্ধ রয়েছে তাদের মোবাইল নম্বর। যদিও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শীর্ষপর্যায় থেকে বলা হচ্ছে, সম্রাটসহ কয়েকজন তাদের নজরদারির মধ্যে রয়েছেন।'সবুজ সংকেত' পেলেই তাদের গ্রেফতার করা হবে।গত ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরু করে র‌্যাব। গত ১৪ দিনেছোট-বড় মিলিয়ে অন্তত ৪০টি অভিযান চালানো হয়। সর্বশেষ গত সোমবার বিকেলেথাইল্যান্ডে পালানোর সময় অনলাইন জুয়ার রাজা সেলিম প্রধানকে থাই এয়ারওয়েজেরএকটি ফ্লাইট থেকে নামিয়ে আনা হয়। শিগগিরই ক্যাসিনো ও দুর্নীতিবিরোধীঅভিযানে আরও অনেকে ধরা পড়বে বলে আভাস দিয়েছেন দায়িত্বশীল গোয়েন্দাকর্মকর্তারা। সম্রাটকে নিয়ে লুকোচুরি :ঢাকার একাধিক অভিজাত ক্লাব থেকে ক্যাসিনোর টাকাতুলতেন সম্রাট। এর মধ্যে ফকিরাপুলের ইয়ংমেনস ক্লাব অন্যতম। মতিঝিল দিলকুশাস্পোর্টিং ক্লাব থেকেও ক্যাসিনোর টাকা পেতেন সম্রাট। ভিক্টোরিয়া ক্লাব ওমুক্তিযোদ্ধা ক্লাবের ক্যাসিনোর অন্যতম নিয়ন্ত্রক ছিলেন তিনি। সম্রাটেরটাকার ভাগ পৌঁছাত আরও অনেকের কাছে। ক্যাসিনো ও দুর্নীতিবিরোধী অভিযানশুরুর পর কয়েক দিন কাকরাইলে দলীয় কার্যালয়ে শত শত নেতাকর্মীর পাহারায় ছিলেনসম্রাট। তবে সপ্তাহখানেক ধরে তার খোঁজ নেই নেতাকর্মীদের কাছে। এরই মধ্যেসম্রাটের দেশত্যাগ ঠেকাতে বিমানবন্দর ও সীমান্তে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।তার সব ব্যাংক হিসাব নম্বর জব্দ করা হয়েছে। তবে সম্রাট গ্রেফতার হবেনকি-না, তা নিয়ে রয়েছে নানামুখী আলোচনা। সম্রাটের আরেক ঘনিষ্ঠজন খোরশেদওরয়েছেন আলোচনায়। খোরশেদ সম্রাটের দেহরক্ষীর মতো সারাদিন তাকে আগলে রাখতেন। এ কে এম মমিনুল হক সাঈদ :মতিঝিল এলাকার কাউন্সিলর ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণযুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ কে এম মমিনুল হক সাঈদ একসময় বিএনপিরাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। মতিঝিল এলাকায় গাড়ির চোরাই তেলের ব্যবসা করতেনতিনি। আওয়ামী লীগ ক্ষমতার আসার পর সাঈদও ডিগবাজি দেন। 'তেল সাঈদ' হিসেবেপরিচিত সাঈদ হয়ে ওঠেন যুবলীগ নেতা। মতিঝিল এলাকায় গড়ে তোলেন নিজস্ব ক্যাডারবাহিনী। নিয়ন্ত্রণে নেন পুরো মতিঝিল এলাকা। ওয়ান্ডারার্স ক্লাবসহ কয়েকটিক্লাবে ক্যাসিনো জুয়ার অন্যতম হোতা সাঈদ ক্যাসিনোবিরোধী চলমান অভিযানেরকারণে দেশে ফিরছেন না। বর্তমানে তিনি অবস্থান করছেন সিঙ্গাপুরে। ঢাকাদক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর মমিনুল হক সাঈদ সিটি করপোরেশনেও প্রভাবখাটান। কাউন্সিলর হয়েও তিনি বোর্ড সভায় ছিলেন অনিয়মিত। ক্যাসিনো কারবার ওঠিকাদারি নিয়ন্ত্রণ করে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন তিনি। বিশ্বস্ত তিন সহসভাপতি :কথায় আছে, 'যার নাই কোনো গতি, সে হয় সহসভাপতি'। তবেদক্ষিণ যুবলীগের তিন সহসভাপতির ক্ষেত্রে এমন কথা অচল। সম্রাটেরবিশ্বাসভাজন হিসেবে দাপিয়ে বেড়াতেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সহসভাপতিসোহরাব হোসেন স্বপন, সরোয়ার হোসেন মনা ও এনামুল হক আরমান। তিনজনই অল্প সময়েকোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। তবে তাদের একজনও সত্যিকার অর্থে আওয়ামীলীগের একনিষ্ঠ 'কর্মী' নন। স্বপন একসময় ফ্রিডম পার্টির ক্যাডার ছিলেন। পরেযোগ দেন বিএনপিতে। ২০০৮ সালে বিএনপি ছেড়ে যুক্ত হন যুবলীগে। সম্রাটেরঘনিষ্ঠ হওয়ার কারণেই তিনি সহসভাপতির পদ পান। আরামবাগ ক্লাবপাড়ারনিয়ন্ত্রণকারীদের মধ্যে তিনিও একজন।দক্ষিণ যুবলীগের আরেক সহসভাপতি সরোয়ার হোসেন মনাও আরামবাগ ক্লাবপাড়ারক্যাসিনো দেখভালের দায়িত্বে ছিলেন। জাতীয় পার্টির মাধ্যমে রাজনীতিতে প্রবেশকরেন তিনি। পরে বিএনপিতে যুক্ত হওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে যুবলীগে নামলেখান। মনার গ্রামের বাড়ি বরিশাল। সম্রাটের আস্থাভাজন হিসেবে মতিঝিল,আরামবাগ ও ফকিরাপুলে ক্যাসিনোর কারবার দেখভাল করতেন তিনি।ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সহসভাপতি এনামুল হক আরমানের রাজনীতি শুরুবিএনপির হাত ধরে। ঢাকায় তার কর্মজীবন শুরু লাগেজ ব্যবসার মাধ্যমে। বিএনপিআমলে আরামবাগ ক্লাবপাড়ার অন্যতম নিয়ন্ত্রক ছিলেন তিনি। বিএনপি ক্ষমতাহারালে যুবলীগের প্রভাবশালীদের বিশ্বস্ত হওয়ার চেষ্টা করেন। যুবলীগেরমিছিল-মিটিংয়েও অংশ নিতে থাকেন। একসময় সম্রাটের ঘনিষ্ঠদের একজন হয়ে ওঠেনতিনি। ঢাকা দক্ষিণ যুবলীগের পদও বাগিয়ে নেন। ক্যাসিনো থেকে সম্রাটের টাকাসংগ্রহ করতেন তিনি। এ কারণে 'সম্রাটের ক্যাশিয়ার' হিসেবেও পরিচিত তিনি।অবৈধ টাকা বৈধ করতে নামেন চলচ্চিত্র ব্যবসায়। 'দেশ বাংলা মাল্টিমিডিয়া'নামে নিজেই প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান খোলেন। আরমানের প্রযোজনায় এ পর্যন্ত একটিসিনেমা মুক্তি পেয়েছে, যার নাম 'মনের মতো মানুষ পাইলাম না'। 'আগুন' নামেতার আরেকটি সিনেমার শুটিং চলমান রয়েছে। এ যেন 'ক্যাসিনো পরিবার' :ক্যাসিনো জুয়া নিয়ন্ত্রণে রাখতে থানা আওয়ামীলীগের বিভিন্ন পদ বাগিয়ে নেন গেণ্ডারিয়ার এনামুল হক ওরফে এনু ভূঁইয়া ও তারআপন ভাই-ভাতিজারা। এনু ভূঁইয়া গেণ্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি, তারবড় ভাই রাশিদুল হক রশিদ ভূঁইয়া ওয়ারী থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি, আরেক ভাইরুপন ভূঁইয়া গেণ্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। রশিদভূঁইয়ার ছেলে ওয়ারী থানার অন্তর্গত ৪১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক বাতেনুল হক বাঁধন ভূঁইয়া এবং রশিদের ভাতিজা তামিম ভূঁইয়াএকই এলাকার ৪১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহসভাপতি পদে রয়েছেন। এর আগে তারানবাবপুর রোডে লেদের একটি ওয়ার্কশপ চালাতেন। তবে ক্যাসিনো কিংবা জুয়ারবোর্ড নিয়ন্ত্রণের পর তাদের আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। শত শত কোটি টাকাহাতিয়ে নেন জুয়ার বোর্ড থেকে। রশিদ ভূঁইয়া, এনু ভূঁইয়া ও রুপন ভূঁইয়াবিলাসবহুল গাড়িতে চলাফেরা করেন। তাদের গাড়িতে ওয়ান্ডারার্স ক্লাব ও আরামবাগক্লাবের স্টিকার লাগানো থাকত। গেণ্ডারিয়া এলাকায় নামে-বেনামে তাদের অন্তত১২টি বাড়ি রয়েছে। গত ২৪ সেপ্টেম্বর র‌্যাব সদস্যরা এনু ভূঁইয়া ও রুপনভূঁইয়ার গেণ্ডারিয়ার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে পাঁচ কোটি টাকা, আট কেজিস্বর্ণালঙ্কার ও ছয়টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করে। এনু, রুপন ও রশিদের বাবাসিরাজুল ইসলাম ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের নিরাপত্তারক্ষী ছিলেন। ক্যাসিনোকারবারি হিসেবে তাদের খুঁজছেন গোয়েন্দারা। 'ক্যাশ আনিস' :গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরের ভাবড়াসুর ইউনিয়নের বোয়ালিয়া গ্রামেরফায়েকুজ্জামানের বড় ছেলে কাজী আনিসুর রহমান। যারা যুবলীগের কাজকর্মসম্পর্কে খোঁজ রাখেন, তাদের কাছে কাজী আনিসুর রহমান পরিচিত 'ক্যাশিয়ারআনিস' হিসেবে। মূলত চাঁদাবাজি, ঠিকাদারির কমিশন, যুবলীগের বিভিন্ন কমিটিতেপদ-বাণিজ্য ও তদবির ছিল তার অর্থ আয়ের সবচেয়ে বড় খাত। যদিও ২০০৫ সালে আনিসযুবলীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের বেতনভোগী পিওন ছিলেন। তার বেতন ছিল পাঁচহাজার টাকা। পরে আনিস যুবলীগের দপ্তর সম্পাদকের পদ ভাগিয়ে নেন। যুবলীগ নেতাখালেদ, জি কে শামীমসহ আরও কয়েকজনকে নিয়ে গড়ে তোলেন চাঁদাবাজ সিন্ডিকেট।অল্প সময়ে কোটি কোটি টাকার মালিক হন আনিস। ধানমি ১৫ নম্বর সড়কে প্রায় আড়াইহাজার বর্গফুটের একটি ফ্ল্যাট আছে তার। ধানমি র ১০/এ সড়কেও আছে আরেকটিফ্ল্যাট। গোপালগঞ্জে আনিসের রয়েছে কোটি কোটি টাকার স্থাবর সম্পত্তি। ২০১৬সালে প্রায় ৩৪ লাখ টাকায় একটি পেট্রোল পাম্পও কেনেন আনিস। মূলত তিনিযুবলীগের 'ক্যাশিয়ার' হিসেবে বিভিন্ন খাত থেকে চাঁদা তুলে নেতাদের মধ্যেবণ্টন করতেন। এরই মধ্যে আনিসের ব্যাংক হিসাব নম্বর জব্দ করা হয়েছে।
ক্যাসিনো কাণ্ড
মেহেরপুরে ‘সন্ত্রাসীদের দুই পক্ষের গোলাগুলিতে’ নিহত ১
প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০১৯ | ২১:৩৩ | আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০১৯ | ২১:৩৭
মেহেরপুরে দুই দল সন্ত্রাসীদের মধ্যে গোলাগুলিতে ইসমাইল হোসেন বাক্কা (৩২) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।  পুলিশের দাবি নিহত ইসমাইলও সন্ত্রাসী।বৃহস্পতিবার রাত ৩টার দিকে জেলার সদর উপজেলার নতুন দরবেশপুর গ্রামের সিরাজুল ইসলামের আম বাগানে এই ঘটনা ঘটে। পরে ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তল, দুই রাউন্ড গুলি, দু’টি কার্তুজ ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ।নিহত ইসমাইল হোসেন বাক্কা চুয়াডাঙ্গা জেলার আকন্দবাড়ি গ্রামের মোল্লা পাড়ার মৃত সাদেক আলীর ছেলে।মেহেরপুর সদর উপজেলার বারাদী ক্যাম্প ইনচার্য এসআই আব্বাস আলী জানান, সদর উপজেলার নতুন দরবেশপুর এলাকায় গোলাগুলির শব্দ শুনে সেখানে অভিযানে যায় পুলিশ। পরে একটি আমবাগানে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় বাক্কাকে পড়ে থাকতে দেখে। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তল, দুই রাউন্ড গুলি, দু’টি কার্তুজ ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি জানান, ঘটনাস্থলে এলাকাবাসী বাক্কার পরিচয় নিশ্চিত করে তিনি সন্ত্রাসী বলে জানায়। সন্ত্রাসীদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে এ ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করছে পুলিশ।
মেহেরপুর, বন্দুকযুদ্ধ
শারদীয় দুর্গোৎসব শুরু আজ
প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০১৯ | ২২:০৯
শারদীয় দুর্গোৎসব শুরু হচ্ছে আজ। ষষ্ঠীপূজার মধ্য দিয়ে সূচনা ঘটছে বাঙালির শারদোৎসবের। পাঁচ দিনের এ উৎসব শেষ হবে ৮ অক্টোবর মঙ্গলবার বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে।হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় এ ধর্মীয় উৎসবকে ঘিরে সারাদেশে এখন বইছে উৎসবের আমেজ। দুর্গাপূজাকে আনন্দমুখর করে তুলতে শেষ হয়েছে দেশজুড়ে বর্ণাঢ্য প্রস্তুতিও।এর আগে বৃহস্পতিবার সারাদেশের পূজামণ্ডপগুলোতে দুর্গা দেবীর বোধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শারদীয় দুর্গোৎসবের প্রাক্কালে এই বোধনের মাধ্যমে দক্ষিণায়নের নিদ্রিত দেবী দুর্গার নিদ্রা ভাঙার জন্য বন্দনা পূজা করা হয়। মণ্ডপে-মন্দিরে পঞ্চমীতে সায়ংকালে তথা সন্ধ্যায় এই বন্দনা পূজা অনুষ্ঠিত হয়। পুরাণ মতে, রাজা সুরথ প্রথম দেবী দুর্গার আরাধনা শুরু করেন। বসন্তে তিনি পূজার আয়োজন করায় দেবীর এ পূজাকে বাসন্তী পূজা বলা হয়। কিন্তু রাবণের হাত থেকে সীতাকে উদ্ধার করতে লংকা যাত্রার আগে শ্রী রামচন্দ্র দেবীর পূজার আয়োজন করেছিলেন শরৎকালের অমাবস্যা তিথিতে, যা শারদীয় দুর্গোৎসব নামে পরিচিত। দেবীর শরৎকালের পূজাকে এ জন্যই হিন্দুমতে অকাল বোধনও বলা হয়।সনাতন বিশ্বাস ও পঞ্জিকামতে, জগতের মঙ্গল কামনায় দেবী দুর্গা এবার ঘোটকে (ঘোড়া) চড়ে মর্ত্যলোকে (পৃথিবী) আসবেন (আগমন)। দেবী স্বর্গলোকে বিদায়ও (গমন) নেবেন ঘোটকে চড়ে, যার ফল হলো ফসল ও শস্যহানি। অর্থাৎ এবার দুর্গা দেবীর আগমনে পৃথিবী থেকে শস্য ও ফসলের বিনাশ হবে।এবার সারাদেশে ৩১ হাজার ৩৯৮টি পূজামণ্ডপে দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে বলে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ জানিয়েছে, যা গতবারের তুলনায় ৪৮৩টি বেশি। আর ঢাকা মহানগরীর এবারের পূজামণ্ডপের সংখ্যা ২৩৭টি, যা গত বছরের তুলনায় তিনটি বেশি।শারদীয় দুর্গাপূজার প্রথম দিন আজ ষষ্ঠীতে দশভুজা দেবী দুর্গার আমন্ত্রণ ও অধিবাস। ষষ্ঠী তিথিতে সকাল ৯টা ৫৭ মিনিটের মধ্যে দেবীর ষষ্ঠাদি কল্পারম্ভ ও ষষ্ঠীবিহিত পূজা। সায়ংকালে দেবীর আমন্ত্রণ ও অধিবাসের মধ্য দিয়ে শুরু হবে মূল দুর্গোৎসব। শনিবার মহাসপ্তমী, রোববার মহাষ্টমী ও কুমারী পূজা, সোমবার মহানবমী এবং মঙ্গলবার বিজয়া দশমী। শেষ দিনে প্রতিমা বিসর্জন ও বিজয়ার শোভাযাত্রা।দুর্গোৎসব চলাকালে পূজার প্রতিদিনই অঞ্জলি, প্রসাদ বিতরণ ও ভোগআরতির আয়োজন করা হবে। এ ছাড়া দেশজুড়ে দুর্গোৎসব চলাকালে মণ্ডপে মণ্ডপে আলোকসজ্জা, আরতি প্রতিযোগিতা, স্বেচ্ছায় রক্তদান, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আলোচনা সভা, নাটক, নৃত্যনাট্যসহ বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করা হবে।দুর্গোৎসব উপলক্ষে পৃথক বাণীতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ হিন্দু ধর্মাবলম্বীসহ দেশবাসীকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।পৃথক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতিত্রয় মেজর জেনারেল (অব.) সি আর দত্ত বীরউত্তম, ঊষাতন তালুকদার ও হিউবার্ট গোমেজ, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি মিলন কান্তি দত্ত, সাধারণ সম্পাদক নির্মল কুমার চ্যাটার্জী, মহানগর সর্বজনীন পূজা কমিটির সভাপতি শৈলেন্দ্র নাথ মজুমদার, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট কিশোর রঞ্জন মণ্ডল, ছাত্র যুব ঐক্য পরিষদের সভাপতিত্রয় পংকজ সাহা, রাহুল বড়ূয়া ও রবার্ট নিক্সন ঘোষ এবং সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার তাপস বল জন্মাষ্টমীর শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের প্রতিটি পূজামণ্ডপের নিরাপত্তা রক্ষায় পুলিশ, আনসার, র‌্যাব ও বিজিবি সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন। পাশাপাশি প্রায় প্রতিটি মণ্ডপে স্বেচ্ছাসেবক বাহিনীও দায়িত্ব পালন করবে। ঢাকেশ্বরী মন্দির মেলাঙ্গনে মহানগর সর্বজনীন পূজা কমিটির উদ্যোগে কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে।রাজধানীতে কেন্দ্রীয় পূজা উৎসব বলে পরিচিত ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির পূজামণ্ডপে পাঁচ দিনের শারদীয় দুর্গোৎসবের সূচনা ঘটবে আজ। পূজার পাশাপাশি ভক্তিমূলক সঙ্গীতানুষ্ঠান, দুস্থদের মধ্যে বস্ত্র বিতরণ, মহাপ্রসাদ বিতরণ, আরতি প্রতিযোগিতা, স্বেচ্ছায় রক্তদান ও শেষ দিনে অনুষ্ঠিত হবে বিজয়া শোভাযাত্রা।রামকৃষ্ণ মিশন ও মঠ পূজামণ্ডপে মহাষ্টমী ও কুমারী পূজার দিনে বিতরণ করা হবে মহাপ্রসাদ। রাজারবাগের বরোদেশ্বরী কালীমাতা মন্দির ও শ্মশান কমিটির পূজামণ্ডপে পূজার আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াও দরিদ্রদের মধ্যে খাদ্য বিতরণ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, নৃত্যনাট্য ও নাটক পরিবেশিত হবে। গুলশান-বনানী সর্বজনীন পূজা উদযাপন পরিষদের আয়োজনে বনানী পূজামণ্ডপে পূজার পাঁচ দিনই পরিবেশিত হবে বিশেষ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। মিরপুর কেন্দ্রীয় মন্দির পূজামণ্ডপেও অনুরূপ আয়োজন থাকছে। জয়কালী রোডের রামসীতা মন্দিরে আলোচনা সভা ও বস্ত্র বিতরণ করা হবে দরিদ্রদের মধ্যে।এ ছাড়া রমনা কালীমন্দির ও আনন্দময়ী আশ্রম, সিদ্ধেশ্বরী কালীবাড়ি, পুরান ঢাকার অভয়নগর দাস লেনের ভোলানন্দগিরি আশ্রম, রাধিকা বসাক লেন, নবেন্দ্র বসাক লেন, ঢাকেশ্বরীবাড়ী, শাঁখারীবাজারের পান্নিটোলা, টিকাটুলীর প্রণব মঠ, ঠাঁটারীবাজারের পঞ্চানন শিবমন্দির, সূত্রাপুরের ঋষিপাড়া গৌতম মন্দির, বনগ্রাম তরুণ সংসদ, ওয়ারী সর্বজনীন পূজা কমিটির মণ্ডপ, উত্তর মৈশুণ্ডী, ফরাশগঞ্জ জমিদারবাড়ি, বিহারীলাল জিও মন্দির ও মতিঝিলের অরুণিমা সংসদ পূজা কমিটির মণ্ডপসহ বিভিন্ন মন্দির ও মণ্ডপে দুর্গোৎসবের ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
দুর্গোৎসব, পূজা
খুলে নেওয়া যাবে না তাফিদার লাইফ সাপোর্ট, আদালতের রায়
প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০১৯ | ২২:১৮
বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ৫ বছর বয়সী শিশু তাফিদা রাকিবের চিকিৎসা চালিয়ে যেতে হবে। খুলে ফেলা যাবে না তার লাইফ সাপোর্ট। চিকিৎসার জন্য তাকে ইতালিতে নেওয়ার ক্ষেত্রে দেওয়া যাবে না বাঁধা। বৃহস্পতিবার লন্ডনের উচ্চ আদালতের বিচারক রয়েল লন্ডন হাসপাতালকে এমন নির্দেশ দিয়েছেন।রয়েল লন্ডন হাসপাতালে নিবিড় পর্যবেক্ষণে কোমায় থাকা তাফিদার আশা ছেড়ে দিয়েছেন চিকিৎসকেরা। তারা বলছেন, তাফিদার আর সুস্থ হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। তারা তার লাইফ সাপোর্ট খুলে দেওয়ার জন্য পরিবারকে চাপ দিতে থাকেন। এমন পরিস্থিতিতে বিষয়টি আদালতে গড়ায়। রায়ে বিচারক ম্যাকডোনাল্ড বলেন, ইইউভুক্ত অন্য একটি রাষ্ট্র থেকে চিকিৎসা গ্রহণের অধিকারে হস্তক্ষেপ করার কোনো যৌক্তিকতা থাকতে পারে না। আমি আশা করি, এই স্থানান্তর অবিলম্বে ঘটবে। এনএইচএস ট্রাস্ট, ইতালির গ্যাসলিনি হাসপাতাল বা অন্য যে কোনো হাসপাতালকে তাফিদার চিকিৎসা সেবা দিয়ে যেতে হবে।বিচারক রায়ে আরও বলেন, চিকিৎসা পেশায় জড়িতদের অবশ্যই নৈতিক ও ধর্মীয় বিষয়গুলোর সঙ্গে ভারসাম্য রেখে প্রতিটি আলাদা রোগীর ক্ষেত্রে পরিস্থিতি অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিতে হবে।রায়ের উপসংহারে বিচারক ম্যাকডোনাল্ড বলেন, চিকিৎসার জন্য ইতালিতে নিয়ে যাওয়া তাফিদার মা-বাবার পছন্দ। সন্তানের জীবন ও তার ধর্মীয় পবিত্রতা রক্ষা তাদের অভিভাবকীয় দায়িত্ব। এই দায়িত্ব চর্চা অবশ্যই তারা করবেন।এদিকে, উচ্চ আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে এনএইচএস ট্রাস্ট আপিল করবে কি-না তা জানা যায়নি। রায় ঘোষণার পর তাফিদার আইনজীবী ব্যারিস্টার ডেভিড লক কিউসি বলেন, এ রায়ে তাফিদার মা-বাবা অনেক বড় যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেলেন। এদিকে এনএইচএস ট্রাস্টের পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার কেটিগলপ কিউসি জানান, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ হয়তো রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারে। তবে এ বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। রায় ঘোষণার আগে বুধবার স্থানীয় সময় বিকেলে পূর্ব লন্ডনের আলতাব আলী পার্কস্থ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে তাফিদার পক্ষে আন্দোলনরত আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘সিটিজেন গো’ এক মানববন্ধন করে। সেখানে রায় বিপক্ষে গেলে এনএইচএস যাতে আর আপিলে না যায় তার দাবি জানানো হয়। মানববন্ধনে ‘সিটিজেন গো’র সমন্বয়ক ক্যারোলিন ফেরো বলেন, আমরা ছোট্ট মায়াবী শিশু তাফিদার বেঁচে থাকার অধিকার রক্ষায় লড়াই করছি। এ লড়াই শুধু তাফিদার মা-বাবার সন্তান রক্ষার লড়াই নয়, এ লড়াই চিকিৎসক কর্তৃক জীবন হরণ সংস্কৃতির বিরুদ্ধে মানবিক মর্যাদা রক্ষার লড়াই। এই ইস্যু শুধু ধর্মীয় বিশ্বাস রক্ষার ইস্যু নয়, এটি হিউম্যান ডিগনিটি রক্ষার ইস্যু। এই আন্দোলন শুধু তাফিদার অধিকার রক্ষার আন্দোলন নয়, বরং বর্তমান ও অনাগত প্রজন্মের স্বাভাবিক মৃত্যুর আগ পর্যন্ত চিকিৎসা পাওয়ার অধিকার রক্ষার লড়াই। মেডিসিন কনসালটেন্ট ড. ফিলিপ হাওয়ার্ড বলেন, একজন রোগীর জীবন বাঁচানোর চেষ্টা করা চিকিৎসকের নৈতিক দায়িত্ব। জীবন হরণের অনুমতির জন্য আদালতে যাওয়ার এমন ঘটনা আমার দীর্ঘ চিকিৎসক জীবনে দেখিনি। জীবন বাঁচানোর চেষ্টা না করে লাইফ সাপোর্ট খুলে নেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ অমানবিক। মানববন্ধনে স্থানীয় কাউন্সিলর ও কমিউনিটি নেতারাও বক্তব্য রাখেন।৫ বছর বয়সী তাফিদা রাকিব চলতি বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি সকালে ঘুম থেকে উঠে মাথায় ব্যথা অনুভব করে। এর একটু পরেই সে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। তাকে স্থানীয় নিউহ্যাম হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে ডাক্তাররা পরীক্ষা করে বলেন, তাফিদার ব্রেইন মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এরপর তার মাথায় অপারেশন করা হয়। অপারেশনের পর থেকে রয়েল লন্ডন হাসপাতালে নিবিড় পর্যবেক্ষণে কোমায় রয়েছে সে। ডাক্তাররা বলছেন, তাফিদার আর সুস্থ হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। সবচেয়ে ভালো সিদ্ধান্ত হলো তাকে শান্তিতে মরতে দেওয়া।কিন্তু তাফিদার মা সেলিনা রাকিব বলে আসছেন, তার মেয়ে এখন আগের চেয়ে ভালো এবং সে দিন দিন সুস্থতার দিকে যাচ্ছে। তারা মেয়েকে উন্নত চিকিৎসার জন্যে ইতালির জেনোয়ার গ্যাসলিনি চিলড্রেনস হাসপাতালে স্থানান্তর করতে চায়। কিন্তু রয়েল লন্ডন হাসপাতালের চিকিৎসকেরা ইতালির হাসপাতালে যাওয়ার অনুমতি দিচ্ছিলেন না।
তাফিদা রাকিব, ব্রিটেন
একসঙ্গে ৫৫ বছরের পথচলা
প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০১৯ | ২২:৪২
বিয়েটা এত সহজ ছিল না তাদের। রাজনীতি করা বোহেমিয়ান ছেলের সঙ্গে কিছুতেই বিয়ে দিতে রাজি ছিলেন না মামা-খালারা। কিন্তু তাদের মন যে সবার অন্তরালে বাঁধা পড়ে গেছে একে অপরের প্রতি। তাই পরিবারের সব চেষ্টাই শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হয়ে যায়। উভয় পরিবারের সম্মতি নিয়ে তারা হয়ে ওঠেন আদর্শ স্বামী-স্ত্রী। বলছিলাম রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং রাশিদা হামিদ দম্পতির কথা। শুক্রবার তাদের ৫৫তম বিয়েবার্ষিকী। দিনটি উপলক্ষে এই প্রতিবেদকের কথা হয় রাষ্ট্রপতিপত্নীর সঙ্গে।'এইচএসসি পড়ার সময়েই ১৯৬৪ সালের ৪ অক্টোবরে বিয়ে! মামা বিয়েতে মত বদলে ফেলতে পারেন। এ জন্য এত তাড়াহুড়া। স্বামী রাজনীতি করেন। কিশোরগঞ্জে একটি ছোট বাসায় থাকতাম। গ্রামের বাড়ি থেকে ছোট ছোট অনেক দেবর আর ভাগ্নে আসে বাসায়। লেখাপড়া করে এখানে থেকে। তাদের কেউ পঞ্চম শ্রেণিতে, কেউ ষষ্ঠ শ্রেণিতে। সারাদিন বাসায় লোকজন। তাদের চা-নাশতা দেওয়া, পরিবারের লোকজনের জন্য রান্না, খাওয়ানো সব সামলাতে হতো আমাকেই।' 'এরপর কেটে গেছে ৫৫ বছর'রাশিদা হামিদের চোখে ভাবালুতা, মধুর স্মৃতিকাতরতাও। তিনি বলতে থাকেন, 'বিয়ের পর হঠাৎ এমন অবস্থায় পড়লাম, কোনো অবসর ছিল না। নিজের দিকে খেয়াল রাখার সুযোগ ছিল না। টানাপড়েনের সংসার। দিনে দিনে সংসার বড় হতে থাকে। ছন্দপতন ঘটে নিজের লেখাপড়ার। তারপরও হতাশ না হয়ে চেষ্টা চালিয়ে যাই। গভীর রাতে একটু একটু করে পড়ি। এভাবেই এইচএসসি। স্বামী আর বাচ্চাদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে নিজের জীবন নিয়ে কোনো চিন্তার সুযোগ পাইনি। তবে আমার স্বামী মানুষকে ভালোবাসেন। তিনি অতিশয় সহজিয়া ও সৎ রাজনীতিক। এ জন্য তিনি যে একদিন ভালো করবেন- এ বিশ্বাস সব সময় ছিল আমার।''স্মৃতি চলে আসে''মুক্তিযুদ্ধের সময় গ্রামে গ্রামে পালিয়ে বেড়াতে হয়েছে আমাকে। ডাকাতরা কেড়ে নেয় সবকিছু। এমন কঠিন পরিস্থিতিতে সন্তানদের মুখে সময় মতো খাবার তুলে দিতে পারিনি। মেলেনি প্রয়োজনীয় কাপড়। তবে থেমে থাকিনি। স্বামীকে রাজনীতির কারণে বারবার জেলে যেতে হয়েছে। থেমে থাকিনি তখনও।''এত দিন পর কেমন মনে হচ্ছে?''স্বামী জাতীয় সংসদ সদস্য হয়েছেন সাতবার। সংসদে বিরোধীদলীয় উপনেতা, ডেপুটি স্পিকার, স্পিকার, অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি ও পরপর দু'বার রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়েছেন। এটা আমার জন্য অনেক গর্বের। কারণ আমাদের প্রেমের বিয়েতে পরিবারের কারও কারও অমত ছিল। পরে তারা সবাই আমাদের দু'জনের সম্পর্কের গভীরতা উপলব্ধি করে মেনে নেন বিয়েটা। সেই থেকে দু'জন একসঙ্গে, একপথে দীর্ঘ ৫৫টি বছর।''ভালোবাসার শুরুটা কখন?''কিশোরগঞ্জের গুরুদয়াল কলেজে ভর্তি হই। ওই কলেজের ছাত্র সংসদের জিএস তখন মো. আবদুল হামিদ। পরিচয় হয় তার সঙ্গে। পরিচয় থেকে প্রেম। তার পর বিয়ে।''এখন কেমন মনে হয় স্বামীকে?''এখনও সেই আগের মতোই আছেন তিনি। সংসার জীবন শুরু করেছিলাম এক কঠিন ও প্রতিকূল পরিস্থিতিতে। তখন রাত দেড়টা-দুটোর আগে ঘুমাতে পারতাম না। এখনও রাত দুটোর আগে ঘুমাতে পারি না।' হাসতে হাসতে বলেন রাশিদা বেগম, 'তাকে কতটা ভালোবাসি, তা কেবল আমিই জানি।''মানুষটাকে ভালোবাসার কারণ?''কারণ তিনি মানুষকে ভালোবাসেন। কারও ক্ষতি করেন না। তার সততা নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই। এখনও বঙ্গভবনে লুঙ্গি পরে এলাকার কোনো সাধারণ মানুষ এলে সঙ্গে সঙ্গে লাফ দিয়ে উঠে পড়েন। এ সরলতার জন্যই মানুষটিকে এত বেশি ভালোবাসি, শ্রদ্ধা করি।''কেমন চলছে এখনকার সংসার?''তিন পুত্র ও এক কন্যার মা হয়েছি। মাঠের রাজনীতি করতে গিয়ে আজকের রাষ্ট্রপতি কখনোই ঘর-সংসার কিংবা স্ত্রী-পুত্রের খবর রাখতে পারেননি। একান্ত প্রয়োজনেও পরিবারের সদস্যদের সময় দিতে পারেননি। সব সময় থেকেছেন গণমানুষের সঙ্গে। মানুষই যেন তার কাছে সব; মানুষের ঘরই যেন তার ঘর, তার সংসার। জনমানুষের সঙ্গে মিশতে গিয়ে ভুলে যেতেন নিজের ঘরের কথা, সংসারের কথা; এমনকি স্ত্রী-পুত্রের কথাও। এসব নিয়ে কোনোদিন অনুযোগ কিংবা অভিমান করিনি। সবকিছু মেনে নিয়েই এই তো; কেটে গেল এতটা বছর!'
রাষ্ট্রপতি, আবদুল হামিদ, রাশিদা হামিদ
মহাত্মা গান্ধীর দেহভস্ম চুরি
প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০১৯ | ২২:৫৪
সংরক্ষণ করে রাখা ভারতের জাতির পিতা মহাত্মা গান্ধীর দেহভস্ম চুরি হয়ে গেছে। একই সঙ্গে তার একটি প্রতিকৃতি বিকৃত করে সেখানে লেখা হয়েছে 'বিশ্বাসঘাতক'। গত বুধবার মধ্যপ্রদেশের রেওয়ায় 'বাপু ভবন'-এ এ ঘটনা ঘটে। এদিন ছিল তার সার্ধশত জয়ন্তী। পুলিশ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছে। খবর বিবিসির।রেওয়ার বাপু ভবনে গান্ধীর দেহভস্ম নেওয়া হয় ১৯৪৮ সালে। এক উগ্র হিন্দুত্ববাদীর হাতে খুন হন তিনি। হিন্দু-মুসলিম ঐক্যের পক্ষে দৃঢ় অবস্থান নেওয়ায় উগ্র হিন্দুরা তাকে বিশ্বাসঘাতক মনে করে থাকে। এদিকে, মধ্যপ্রদেশ পুলিশ বলেছে, 'এ ধরনের ঘটনা জাতীয় ঐক্য ও শান্তি বিনষ্টের নামান্তর। এ বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।' বাপু ভবনের তত্ত্বাবধায়ক মঙ্গল তিওয়ারি বলেন, গান্ধীজির জন্মদিনে বুধবার সকালে বাপু ভবনের দরজা সবার জন্য খুলে দেওয়া হয়। সকাল ১১টার দিকে তিনি ভবনে ফিরে দেখেন বাপুর দেহভস্ম নেই। তার পোস্টারও বিকৃত করা হয়েছে।এ ঘটনায় স্থানীয় কংগ্রেস নেতা গুরমিত সিং থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
মহাত্মা গান্ধী, দেহভস্ম চুরি, ভারত
বিকিনি মডেলকে ১৩৫ কোটি টাকা উপহার লেবাননের প্রধানমন্ত্রীর
প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০১৯ | ২৩:১৯ | আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০১৯ | ২৩:২৪
দক্ষিণ আফ্রিকার একজন বিকিনি মডেলকে ১৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (১৩৪ কোটি ৮২ লাখেরও বেশি টাকা) ‘উপহার’ দিয়েছেন লেবাননের প্রধানমন্ত্রী সাদ হারিরি।দক্ষিণ আফ্রিকার একটি আদালত থেকে পাওয়া নথি বিশ্লেষণ করে নিউ ইয়র্ক টাইমস এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে। প্রতিবেদনটি প্রকাশের পর ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছেন সাদ হারিরি।প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৩ সালে সিচেলিস দ্বীপে দক্ষিণ আফ্রিকার মডেল ক্যানডাইস ভ্যান ডার মারউইর সঙ্গে দেখা করেন হারিরি। ওই সময় তিনি এই মডেলকে ব্যক্তিগতভাবে ১৬ মিলিয়ন ডলার দেন। হারিরি ওই মডেলকে এই অর্থ কেন দিয়েছিলেন তা জানা যায়নি।নিউ ইয়র্ক টাইমস জানায়, লেবাননের দুই মেয়াদের প্রধানমন্ত্রী সাদ হারিরি বিকিনি মডেলকে দুই দফায় এই অর্থ উপহার দেন। এর মধ্যে প্রথমবার ক্যানডাইসের অ্যাকাউন্টে অর্থ স্থানান্তর হয় ২০১৩ সালে, সে সময় তিনি লেবাননের সরকারে ছিলেন না।বিকিনি মডেলকে নগদ অর্থ পাঠানো বেআইনি না হলেও এ এনিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা চলছে। কেউবা এতদিন পরে ওই প্রতিবেদন করা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন।
লেবাননের প্রধানমন্ত্রী, সাদ হারিরি, ক্যানডাইস ভ্যান ডার মারউইর, মডেল
কানাডার ক্যালগেরিতে শারদীয় দুর্গোৎসব
প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০১৯ | ২৩:৩৩
বরফাচ্ছন্ন কানাডার ক্যালগেরিতে আনন্দ উৎসবের মধ্যে দিয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসব চলছে সাউথ ভিউ কমিউনিটি হলে। প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে উৎসবে যোগ দিচ্ছেন বিদেশিরাও।'মা দুর্গার আগমনে প্রতীক্ষা হলো সারা, ভুবন জুড়ে খুশির আমেজ ভালবাসায় ভরা' এমন প্রতিপাদ্য এবং বাংলা সংস্কৃতিকে হৃদয়ে ধারণ করে ক্যালগেরির বাংলাদেশ পূজা পরিষদ অব ক্যালগেরি সাউথ ভিউ কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজন করেছে এই শারদীয় দুর্গোৎসব। আলোক উজ্জ্বল আর সুক্ষ ছোঁয়ায় সাজানো হয়েছে পূজামণ্ডপ। নানা মাত্রিক আচার অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে শারদীয় উৎসবে চলছে দেবী দুর্গার আরাধনা। একে অন্যের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়ে পূজামণ্ডপ হয়ে উঠছে মিলন মেলার। উৎসবের সাংস্কৃতিক আয়োজনে অংশ নিচ্ছেন প্রবাসী স্বনামধন্য শিল্পীরা।বাংলাদেশ পূজা পরিষদ অব ক্যালগেরির সভাপতি প্রণব দাস বলেন, দুর্গতি বিনাশ করার জন্য তার আবির্ভাব। তাই দেবির নামকরণ ‘র্দুগা’। নব প্রজন্মের কাছে আবহমান বাংলার কৃষ্টি ইতিহাস, ঐতিহ্য ও জাতীয় স্বত্ত্বাকে তুুলে ধরাই আমাদের উদ্দেশ্য। বাংলাদেশ পূজা পরিষদ অব ক্যালগেরির সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ সাহা বলেন, আমরা চাই মায়ের আশীর্বাদে সবাই ভালো থাকতে, আজকরে এই শুভ দিনে সকলকে শারদীয় দুর্গোৎসবের শুভেচ্ছা। বাংলাদেশ পূজা পরিষদ অব ক্যালগেরির এক্সকিউিটভি কমিটির সদস্য সুব্রত বরৈাগী বলেন, প্রতবিছরই আমরা বাংলাদেশের আবহে চেষ্টা করি আমাদের পূজা সম্পন্ন করতে।বাংলাদেশ পূজা পরিষদ অব ক্যালগেরির এক্সকিউিটভি কমটিরি সদস্য দেবাশীষ রায় বলেন, আজকরে এই শুভ দিনে আমরা চাই মায়ের আশীর্বাদে  দেশে ও বিশ্বের মধ্যে শান্তি বিরাজ করুক, আগামী দিনগুলো আরো সুন্দর হয়ে উঠুক, ভালো থাকুক বিশ্ববাসী।দেশের মাটিতে পা রাখতে না পারলেও কানাডার সনাতন ধর্মাবলম্বী বাঙ্গালিরা এখন দুর্গাপূজাকে ঘিরে মেতে উঠেছেন আনন্দ উৎসবে। দেবীর পায়ে অঞ্জলি আর দর্শনের পাশাপাশি বিশ্ববাসীর সুখ ও শান্তি কামনা করে প্রার্থনা করেছেন প্রবাসী সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। 
প্রবাস
থানার সামনে গায়ে আগুন দিয়ে প্রাণ হারানো লিজার স্বামী গ্রেফতার
প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০১৯ | ২৩:৪৯
রাজশাহীর শাহ্ মখদুম থানার সামনে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দিয়ে কলেজছাত্রী লিজা রহমানের (১৯) আত্মহত্যার প্ররোচনা মামলায় পুলিশ তার স্বামী সাখাওয়াত হোসেনকে গ্রেফতার করেছে।বৃহস্পতিবার রাতে গোমস্তাপুর থানার লক্ষীনারায়নপুর গ্রাম থেকে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।শাহমখদুম থানার ওসি মাসুদ পারভেজ জানান, লিজার আত্মহত্যার ঘটনায় তার বাবা মো. আলম বাদি হয়ে বুধবার রাতে লিজার স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়ির নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও আত্মীয় স্বজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। শাহমখদুম থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে তার স্বামীকে গ্রেফতার করে।গত ২৮ সেপ্টেম্বর নগরীর শাহ মখদুম থানায় স্বামী সাখাওয়াত হোসেনের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ করতে যান রাজশাহী সরকারি মহিলা কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী লিজা রহমান। তবে পুলিশ অভিযোগ না নেওয়ায় একপর্যায়ে তিনি থানার সামনে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। এ সময় লিজার শ্বাসনালীসহ শরীরের প্রায় ৬৪ শতাংশ অংশ পুড়ে যায়। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। গত বুধবার সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান লিজা।
কলেজছাত্রী লিজা, কলেজছাত্রীর আত্মহত্যা, গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যা, রাজশাহী
রেগেমেগে আগুন পাক পররাষ্ট্রমন্ত্রী!
প্রকাশ: ০৪ অক্টোবর ২০১৯ | ০০:১৯ | আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০১৯ | ০০:২৩
জম্মু-কাশ্মীর প্রসঙ্গ নিয়ে টেলিভিশন টকশোতে গিয়ে তোপের মুখে পড়ে খেপে গেলেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কোরেশি। ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে শুক্রবার এতথ্য জানানো হয়। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনে কাশ্মীর ইস্যুতে ইসলামাবাদকে সমর্থন দেওয়ার জন্য যে ৫৮টি দেশের কথা উল্লেখ করেছিলেন, সেই দেশগুলির নাম জানতে চাওয়া হয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী কোরেশির কাছে। দেশটির টিভি চ্যানেল এক্সপ্রেস নিউজে এক টকশো চলাকালীন ওই প্রশ্নের মুখে পড়ে আর নিজেকে ধরে রাখতে পারেননি এই মন্ত্রী। হঠাতই রেগেমেগে আগুন হয়ে যান তিনি। কাশ্মীর ইস্যুতে ৫৮টি দেশ ইসলামাবাদকে সমর্থন করেছে বলে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের করা বক্তব্যকে বারবার সমর্থন করা কোরেশি প্রশ্নকারীকে বলেন, আপনি কার হয়ে কাজ করছেন? টকশো উপস্থাপক জাভেদ চৌধুরীকে তিনি বলেন, আপনি কি আমাকে শেখাবেন নাকি সিদ্ধান্ত নেবেন যে জাতিসংঘ কোন দেশ পাকিস্তানকে সমর্থন করেছে বা সমর্থন করে নি তা নিয়ে আমি কী বলব? ... আপনি যা খুশি লিখতে পারেন!নিজের টুইটার অ্যাকাউন্টে ইমরান খানের মন্তব্যের সমর্থনে তার করা টুইটের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে মেজাজ হারিয়ে কোরেশি রীতিমতো চ্যালেঞ্জের সুরে বলেন, না! না! আমি যে টুইটটি লিখেছি তা আমাকে দেখান, প্রধানমন্ত্রী খান যা লিখেছেন তা নয়। আপনি আমার টুইটের কথা বলেছেন ... আমাকে সেই টুইটটা দেখান, আমি আমার টুইটটি দেখতে চাই।এমনকি মন্ত্রীকে তার করা টুইট দেখানোর পরেও কোরেশি বলেন, তিনি টুইটটিতে কোনও ভুল খুঁজে পাচ্ছেন না। সব মিলিয়ে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পাকিস্তানের টিভি চ্যানেলের ওই টকশো।
পাকিস্তান, টকশো
দুবাইয়ে গ্রেফতার শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসান
প্রকাশ: ০৪ অক্টোবর ২০১৯ | ০০:৩৮ | আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০১৯ | ০১:২২
পুলিশের তালিকাভুক্ত পলাতক শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসান আহমেদকে গ্রেফতার করা হয়েছে।সম্প্রতি সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই থেকে জিসানকে গ্রেফতারের পর বুধবার তার পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়। পুলিশ সদর দফতরের এআইজি (ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরো) মহিউল ইসলাম এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।ইন্টারপোলের রেড নোটিসে থাকা জিসান একটি ভারতীয় পাসপোর্ট বহন করছিলেন দুবাইয়ে। এতে তার নাম দেওয়া হয় আলী আকবর চৌধুরী।মহিউল ইসলাম বলেন, ইন্টারপোলের মাধ্যম দুবাই পুলিশ আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে জিসানকে গ্রেফতারের কথা জানিয়েছে। সম্প্রতি তার বিষয়ে জোরালোভাবে খোঁজখবর শুরু হয়। এরপরই দুবাইয়ের পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। ২০০১ সালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের করা ২৩ জন শীর্ষ সন্ত্রাসীর তালিকায় নাম ছিল জিসানের। সে সময় তাকে ধরিয়ে দিতে পুরস্কারও ঘোষণা করা হয়। এক সময় গুলশান, বনানী, মতিঝিল, মালিবাগ, বাড্ডা এলাকায় আতঙ্কের নাম ছিল জিসান। ২০০৩ সালে মালিবাগে সানরাইজ হোটেলে ডিবির দুই সদস্যকে হত্যার পর থেকেই পলাতক শীর্ষ এই সন্ত্রাসী।সম্প্রতি কয়েকজন রাজনৈতিক নেতার বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দুর্নীতি বিরোধী অভিযান শুরুর পর তাদের সঙ্গে জিসানের যোগাযোগের তথ্য উঠে আসে।
জিসান গ্রেফতার
সিনেমা নির্মাণের ইচ্ছা আছে, প্রস্তুতি নিচ্ছি: জাহিদ হাসান
প্রকাশ: ০৪ অক্টোবর ২০১৯ | ০০:৪৭
জাহিদ হাসান। নন্দিত এই অভিনেতা, মডেল ও নির্মাতার জন্মদিন আজ। এ শুভদিনে তার সঙ্গে কথা হয় শিল্পীজীবন নিয়ে তার ভাবনা, আগামী দিনের পরিকল্পনা ও অন্যান্য প্রসঙ্গ নিয়ে-সমকাল পরিবারের পক্ষ থেকে আপনাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা...সমকাল পরিবারের সবাইকে শুভেচ্ছার জন্য ধন্যবাদ। সেইসঙ্গে সবার কাছে দোয়া চাই যেন সৃষ্টিকর্তা আমাকে সুস্থ রাখেন, যাতে করে অনেক কাজ করতে পারি। কুড়াতে পারি দর্শকের ভালোবাসা।জন্মদিন ঘিরে অনেকে নানা ধরনের আয়োজন বা পরিকল্পনা করেন। আপনি আজকের দিনটি কীভাবে কাটানোর পরিকল্পনা করেছেন?আজ জুমার নামাজ পড়ে দিনের বাকি সময়টা বাসায় কাটাব- এ ছাড়া আজকের দিন নিয়ে আর কোনো পরিকল্পনা করিনি। আমার পরিবার এবং সহকর্মীদের অনেকে জানেন, জন্মদিন নিয়ে কখনোই আমার বাড়তি পরিকল্পনা থাকে না। এবারও নেই। কিন্তু একটা কাজ প্রতিবছর নিয়ম মেনে করি, তা হলো পরিবারকে সময় দেওয়া। সব ব্যস্ততা ঝেড়ে ফেলে ছুটি নিয়ে নিই। কোনোরকম শুটিং রাখি না। এদিন অনেকে বাসায় এসে শুভেচ্ছা জানান। সেসব অতিথির সঙ্গে পরিবারের সবাই মিলে কিছুটা সময় আনন্দ ভাগাভাগি করে নিই। এভাবেই পালন করি আমার জন্মদিন।এবার ভিন্ন প্রসঙ্গে আসি। ক'দিন আগে আপনার অভিনীত 'সাপলুডু' ছবিটি মুক্তি পেল। এ ছবি নিয়ে দর্শক প্রতিক্রিয়া কেমন মনে হচ্ছে?দর্শক প্রতিক্রিয়া শুরু থেকেই আশানুরূপ ছিল। প্রিমিয়ারে সিনেমা হলে বসে যখন অনেকের সঙ্গে ছবিটি দেখছিলাম, তখনই বুঝতে পেরেছি 'সাপলুডু' অনেকের মনোযোগ কাড়বে। গোলাম সোহরাব দোদুলের প্রথম পরিচালনার এ ছবিতে যত্নের ছাপ স্পষ্ট। গল্প উপস্থাপনেও আছে নিজস্ব ভঙ্গি। শিল্পীরাও নিজের সেরা কাজ তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। একটি ভালো ছবির জন্য যা কিছু প্রয়োজন তার অনেক কিছু আছে এতে।অনেকে নাটক, টেলিছবি নির্মাণ করেছেন। চলচ্চিত্র নির্মাণ নিয়ে ভাবেননি?অনেকবার ভেবেছি, আবার নানা কারণে পিছিয়েও এসেছি। ছবি নির্মাণের ইচ্ছা একেবারে নেই, তাও নয়। প্রস্তুতি নিচ্ছি। যখন মনে হবে আমি নির্মাণের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত, ঠিক তখনই ঘোষণা দেব।অভিনেতা ও নির্মাতা জাহিদ হাসানের মধ্যে কোনো পার্থক্য খুঁজে পান?অনেক পার্থক্য আছে, যা আপনা আপনি ধরা দেয়, তা আলাদা করে খুঁজে নিতে হয় না। কারণ, অভিনয় আমার পেশা, নেশা, ধ্যানজ্ঞান। আর নির্মাণ হলো শখ ও সৃষ্টির নেশায় ডুব দেওয়া। তাই আমার কাছে নির্মাতার চেয়ে বড় অভিনেতা পরিচয়।
জাহিদ হাসান, সাক্ষাৎকার, বিনোদন
দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান চলবে: পর্যটন প্রতিমন্ত্রী
প্রকাশ: ০৪ অক্টোবর ২০১৯ | ০০:৪৯
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মাহবুব আলী বলেছেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের চলমান অভিযান অব্যাহত থাকবে। এতোদিন যাদের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতে সাহস পেত না প্রধানমন্ত্রী তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছেন। শুক্রবার সকালে মাধবপুর উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে দুর্গা পূজা উপলক্ষে সরকারি অনুদানের অর্থ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। পর্যটন প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা কঠিন চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে দেশকে উন্নয়ন ও অগ্রগতির দিকে নিয়ে গেছেন। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে। কিছু দুর্নীতিবাজ মানুষের কারণে সরকারের এ অর্জন বৃথা যেতে পারে না।তিনি আরও বলেন, মাধবপুরের বিভিন্ন স্থান থেকে যত্রতত্র বালু উত্তোলনের ফলে সোনাই ব্রিজ এখন হুমকির পথে। বালু পরিবহনের ফলে গ্রামের সাধারণ রাস্তাঘাট একেবারেই ভেঙে পড়ছে। এ কারণে বালু দস্যুদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য মাধবপুর উপজেলা প্রশাসনকে নির্দেশনা দেন তিনি। মাধবপুর উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন- উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাননূভা নাশতারান। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দ মো. শাহজাহান, ভাইস চেয়ারম্যান মজিব উদ্দিন তালুকদার ওয়াসিম, মুক্তিযোদ্ধা সুকোমল রায়, আতিকুর রহমান, তাজুল ইসলাম, ফারুক পাঠান, শফিকুর ইসলাম, আরিফুর রহমান, পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সুনীল দাস, সেক্রেটারি লিটন রায়, প্রেস ক্লাব সেক্রেটারি সাব্বির হাসান প্রমুখ।
পর্যটন প্রতিমন্ত্রী, মাহবুব আলী, মাধবপুর
মোশাররফ করিমের আছে বিশেষ ক্ষমতা
প্রকাশ: ০৪ অক্টোবর ২০১৯ | ০০:৫৭ | আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০১৯ | ০০:৫৮
একদিন বৃষ্টির মধ্যে হেঁটে যাচ্ছিলেন বাবু। হঠাৎ করেই তার মাথার ওপর পড়ে বজ্রপাত। কিন্তু তাতে মারা যাননি তিনি। কয়েকদিন পরই পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠেন। পরে বাবু এলাকার সবাইকে বলেন, তার হাতে বিশেষ ক্ষমতা আছে। এরপর সবার বিশ্বাসের সুযোগ নিয়ে তিনি প্রতারণা শুরু করেন। এমনই ব্যতিক্রমী গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে একক নাটক 'ম্যাগনেট বাবু'।নাটকের নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন মোশাররফ করিম। তার বিপরীতে দেখা যাবে মডেল অভিনেত্রী সারিকাকে। রশিদুর রহমানের নাটকটি নির্মাণ করেছেন তপু খান।মোশাররফ করিম বলেন, 'একেবারেই ভিন্ন ধাঁচের গল্পের নাটক 'ম্যাগনেট বাবু'। এমন গল্পে আমি এর আগে কখনও অভিনয় করিনি। দর্শক নাটকটি উপভোগ করবেন বলে আশা করছি। নির্মাতা তপু খান জানান, 'নাটকটির শুটিং শেষে বর্তমানে সম্পাদনার টেবিলে রয়েছে। শিগগিরই এটি একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে প্রচার হবে।'
ম্যাগনেট বাবু, মোশাররফ করিম, বিনোদন
ফের আসা শুরু হয়েছে ভারতীয় পেঁয়াজ
প্রকাশ: ০৪ অক্টোবর ২০১৯ | ০১:০৬
ভারত সীমান্তে আটকে থাকা পূর্বের এলসি করা পেঁয়াজ অবশেষে রফতানি করার অনুমতি দিয়েছে সেদেশের সরকার। ভারতের হিলি এক্সপোর্টার অ্যান্ড কাস্টমস ক্লিয়ারিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি সনজিৎ মজুমদার এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন হলেও বেলা ১২টা ২০মিনিট থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজবোঝাই ভারতীয় ট্রাক বাংলাদেশে আসা শুরু হয়েছে।হিলি স্থলবন্দরের ব্যবসায়ী মোর্শেদুর রহমান ও নাজমুল হক জানান, চলতি বর্ষা মৌসুমে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে ব্যাপক বন্যায় পেঁয়াজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ কারণে ভারতে পেঁয়াজের সঙ্কট সৃষ্টি হলে দাম কয়েকগুণ বেড়ে যায়। অভ্যন্তরীণ মজুদ স্বাভাবিক রাখতে এবং জনদুর্গতি ঠেকাতে সে দেশের সরকার গত ২৯ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে পেঁয়াজ রফতানি পুরোপুরি বন্ধ করে দেয়। এ অবস্থায় সীমান্তের ওপারে প্রায় ৬০টি ট্রাকে দেড় হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আটকে থাকায় বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা ভারতের ব্যবসায়ীদের ওপর চাপ সৃষ্টি করেন। অবশেষে ৫দিন পর পূর্বের এলসি করা পেঁয়াজ হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশে রফতানি করার অনুমতি দেওয়া হয়।ওই ব্যবসায়িরা আরও জানান, গত কয়েকদিন ধরে পেঁয়াজের বস্তা ট্রাকে বাঁধা অবস্থায় ছিল। ফলে অনেক পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে গেছে। এতে ব্যবসায়ীরা আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।হিলি স্থল শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা নুর আমিন জানান, শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন হলেও দুই দেশের ব্যবসায়ীদের অনুরোধে শুল্ক স্টেশনের কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখা হয়েছে। কারণ বাজার স্থিতিশীল রাখতে আমদানি হয়ে আসা পেঁয়াজের চালান দ্রুত খালাস করা হচ্ছে। যাতে করে ব্যবসায়ীরা নিত্য প্রয়োজনীয় এই পণ্যটি দ্রুত বাজারজাত করতে পারেন।এদিকে শুক্রবার আমদানি হয়ে আসা পেঁয়াজ বন্দরের মোকামগুলোতে মানভেদে ৮০-৯০ টাকা কেজিতে পাইকারি বিক্রি হচ্ছে। 
হিলি স্থলবন্দর, পেঁয়াজ, ভারতীয় পেঁয়াজ
অধিকার আদায়ে সোচ্চার শ্রুতি হাসান
প্রকাশ: ০৪ অক্টোবর ২০১৯ | ০১:১২
নারীর অধিকার নিয়ে অভিনেত্রী শ্রুতি হাসান সবসময় বেশ সোচ্চার। এ অভিনেত্রী ভারতে বেশ কয়েকটি নারীর অধিকার সংরক্ষণ বিষয়ক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত আছেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি সংগঠনের নাম আরপিজে। সম্প্রতি মুম্বাইভিত্তিক এই সংগঠনের আমন্ত্রণে একটি সেমিনারে অংশ নিয়েছেন শ্রুতি। সেখানে তিনি বলেন, 'শুধু ভারত নয়, সারাবিশ্বে নারীদের বিভিন্ন প্রতিকূল অবস্থা পাড়ি দিতে হচ্ছে। একবিংশ শতাব্দীতে এসেও নারীদের এমন পরিস্থিতির শিকার হওয়া খুবই দুঃখজনক।' তিনি আরও বলেন, 'আগে ভারতে নারীদের কেন্দ্র করে সিনেমা নির্মাণ কম হতো। তবে এ অবস্থার ধীরে ধীরে পরিবর্তন আসছে।সাম্প্রতিক বছরগুলোতে খেয়াল করলে দেখা যায়, নারীপ্রধান ছবিগুলো বেশ সফল হচ্ছে। তাই আমাদের সবার উচিত বদ্ধমূল ধারণা থেকে বেরিয়ে আসা।' চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রিতে অভিনেত্রীদের পারিশ্রমিক নিয়ে বৈষম্যের কথাও অনুষ্ঠানে তুলে ধরেন শ্রুতি। তিনি বলেন, ভারতের প্রত্যেক চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রিতে অভিনেতারা বেশি পারিশ্রমিক পান। এটি একেবারেই যুক্তিসঙ্গত নয়। একজন অভিনেতা যেমন পরিশ্রম করেন, অভিনেত্রীও একবিন্দু কম করেন না। তাহলে এমন বৈষম্য কেন?এদিকে কমল হাসান তনয়া শ্রুতি বর্তমানে মহেশ মঞ্জেকারের পরিচালনায় একটি দক্ষিণী ছবির কাজে ব্যস্ত আছেন। ছবিতে তার বিপরীতে অভিনয় করেছেন বিদ্যুৎ জামাল। এ ছাড়াও হলিউডে 'ট্রেডস্টোন' শিরোনামে একটি টিভি সিরিজেও কাজ করছেন শ্রুতি হাসান।
শ্রুতি হাসান, নারী অধিকার, বিনোদন
ইংল্যান্ডে ১০০ বলের ক্রিকেটে সাকিব-তামিমসহ ৬ টাইগার
প্রকাশ: ০৪ অক্টোবর ২০১৯ | ০১:৪৩
ইংল্যান্ডে আগামী বছর অনুষ্ঠিত হবে 'দ্য হানড্রেড' বা ১০০ বলের ক্রিকেট। ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টির পর প্রথমবার অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই ১০০ বলের ক্রিকেট আসরের জন্য ১৬৫ জন বিদেশি খেলোয়াড়ের ড্রাফট তালিকা দিয়েছে ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)। তাদের তালিকায় বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান ছাড়াও থাকছেন বাংলাদেশের আরো পাঁচজন টাইগার ক্রিকেটার।‘দ্য হানড্রেড’ ক্রিকেটের ড্রাফট তালিকায় সাকিব আল হাসানের সঙ্গে আছেন তামিম ইকবাল ও মুশফিকুর রহিম, মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন, মোহাম্মদ মিঠুন ও মুস্তাফিজুর রহমান।ইসিবি প্রকাশিত এই ড্রাফটে ১১ টি দেশের ক্রিকেটাররা আছেন। নবীন দুই পূর্ণ সদস্য দেশ আফগানিস্তান ও আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে নেপালের খেলোয়াড়রাও স্থান পেয়েছেন এই তালিকায়।‘দ্য হানড্রেড’ এর এই ড্রাফট তালিকায় ১৬৫ জন খেলোয়াড়ের জন্য সাতটি ধাপে মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। ১ লাখ ২৫ হাজার পাউন্ড ও ১ লাখ পাউন্ডের পরের ধাপগুলো হলো ৭৫ হাজার পাউন্ড, ৬০ হাজার পাউন্ড, ৫০ হাজার পাউন্ড, ৪০ হাজার পাউন্ড ও ৩০ হাজার পাউন্ড। তালিকায় ৬৭ জন ক্রিকেটার মূল্য উন্মুক্ত রাখা হয়েছে।প্রথম ক্যাটাগরিতে আছেন আট জন ক্রিকেটার। যাদের শীর্ষ মূল্য ধরা হয়েছে ১ লাখ ২৫ হাজার পাউন্ড। সাকিব ও তামিম আছেন ৭৫ হাজার পাউন্ডের তালিকায়। যাদের সঙ্গে আছেন আরো ১৫ ক্রিকেটার।এই টুর্নামেন্টে প্রতিটি দল তাদের একাদশে তিনজন বিদেশি ক্রিকেটারকে রাখতে পারবে। বিদেশি খেলোয়াড় বাছাইয়ের জন্য নিলাম শুরু হবে আগামী ২০ অক্টোবর। আর আগামী বছর ১৭ জুলাই থেকে ১৬ আগস্ট এই টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হবে।
ইংল্যান্ড, দ্য হানড্রেড, ১০০ বলের ক্রিকেট, ইসিবি, সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম