Title
stringlengths
1
106
Time
stringlengths
28
73
Content
stringlengths
0
42.5k
Tags
stringlengths
0
210
আপিল বিভাগের বিচারকক্ষে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি
প্রকাশ: ০১ অক্টোবর ২০১৯ | ১০:৫৩ | আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০১৯ | ০৬:২৪
স্বাধীনতার ৪৮ বছর পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিটাঙানো হয়েছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের ১ নম্বরবিচারকক্ষে। মঙ্গলবার আপিল বিভাগের বেঞ্চে প্রধান বিচারপতি সৈয়দমাহমুদ হোসেনের উপস্থিতিতে এই প্রতিকৃতি টাঙানো হয়। এই বেঞ্চেই প্রধানবিচারপতির নেতৃত্বে আপিল বিভাগের সাত বিচারপতি নিয়মিত বিচারকার্য সম্পন্নকরেন। বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি টাঙানোর সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিম কোর্টেররেজিস্ট্রার জেনারেল মো. জাকির হোসেন, হাইকোর্টের স্পেশাল অফিসার মোহাম্মদসাইফুর রহমানসহ সুপ্রিম কোর্টের ঊর্দ্ধতন কর্মকতারা। পরে সুপ্রিম কোর্টেররেজিস্টার জেনারেল জাকির হোসেন সাংবাদিকদের জানান, কয়েকদিনের মধ্যেহাইকের্টে সবগুলো বেঞ্চের বিচারকক্ষে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি টাঙানো হবে। দেশের সকল আদালত কক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি সংরক্ষণ ওপ্রদর্শনের নির্দেশনা চেয়ে গত ২১ আগষ্ট সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সুবীরনন্দী দাস হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের করেন। পরে ওই রিটের শুনানি নিয়ে ২৯আগস্ট দুই মাসের মধ্যে দেশের সব আদালত কক্ষে জাতির পিতার প্রতিকৃতিপ্রদর্শন ও সংরক্ষণের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এরই ধারাবাহিকতায় ২৩সেপ্টেম্বর আইন মন্ত্রণালয় দেশের সকল অধস্তন আদালত কক্ষে বঙ্গবন্ধুরপ্রতিকৃতি সংরক্ষণ ও প্রদর্শনের জন্য প্রজ্ঞাপন জারি করে। এরপর দেশের সকলঅধস্তন আদালত কক্ষে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি টাঙানো শুরু হয়।
আপিল বিভাগ, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি, সুপ্রিম কোর্ট
সমকাল সুহৃদ সমাবেশ উদ্যোগ গোপালগঞ্জে ১ হাজার মানুষ পেল চক্ষু সেবা
প্রকাশ: ০১ অক্টোবর ২০১৯ | ১০:৫৭
গোপালগঞ্জে বাঘিয়ার বিলের শিক্ষার্থী ও দলিত সম্প্রদায়ের ১ হাজার মানুষ বিনামূল্যে পেয়েছে চোখের আধুনিক চিকিৎসা। মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিজ নির্বাচনী এলাকা কোটালীপাড়া উপজেলার বিনয়কৃষ্ণ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে দৃষ্টি দিবস উপলক্ষে গোপালগঞ্জ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব চক্ষু হাসপাতাল, সমকাল সুহৃদ সমাবেশ,অরবিস দিনব্যাপী মেগা চক্ষু ক্যাম্প করে। চক্ষু হাসপাতালের পরিচালক প্রফেসর ডা. সাইফুদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে ওই হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স, কর্মকর্তারা এ সেবা দেন। পরে ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী রোগীদের হাসপাতালের পক্ষ থেকে বিনামূল্যে ঔষুধ ও চশমা দেয়া হয়। এছাড়া এ ক্যাম্প থেকে ছানি অপারেশনের জন্য ২৫ জন রোগীকে বাছাই করা হয়।এ ক্যাম্পের শুরুতে বিনয়কৃষ্ণ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ শ' শিক্ষার্থীর দৃষ্টিশক্তি পরীক্ষা করা হয়। পরে তাদের প্রয়োজন অনুসারে চোখের চিকিৎসা ও চশমা দেয়া হয়।চোখের চিকিৎসা পেতে সকাল থেকেই বিল এলাকার দলিত সম্প্রদায়ের বিভিন্ন বয়সের শত শত নারী-পুরুষ বিনয়কৃষ্ণ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের চক্ষু ক্যাম্পে আসেন। এ মেগা চক্ষু ক্যাম্পে সমকাল সুহৃদ সমাবেশের সদস্যরা স্বেচ্ছাসেবকের দায়িত্ব পালন করেন।বিনয়কৃষ্ণ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী দোলা হালদার, মৌসুমী হালদার বলেন, আমাদের দৃষ্টিশক্তি পরীক্ষা করা হয়েছে। আমাদের চোখে সমস্যা আছে। দূরে দেখতে সমস্যা হয়। তাই ক্লাসের ব্ল্যাকবোর্ডের লেখা পড়তে ও বুঝতে সমস্যা হতো। দৃষ্টিশক্তি পরীক্ষান পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ চশমা ও ঔধুষ দিয়েছে।শিক্ষার্থী অর্পিতা বিশ্বাস বলেন, আমাদের এক সহপাঠী ৩ বছর আগে চোখের সমস্যার কারণে পড়াশোনা ছেড়ে দিয়েছে। আমাদের ক্লাসে চোখের সমস্যা নিয়েও অনেকে ক্লাস করছে। চক্ষু হাসপাতাল তাদের চিকিৎসা দেয়ার পর তারা এখন চোখে ভাল দেখছে। তাদের স্কুল ছাড়ার পরিনতি বরণ করতে হবেনা।কোটালীপাড়ার কালিগঞ্জ গ্রামের দলিত সম্প্রদায়ের সুবল কৃষ্ণ দাস (৭২) বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের অনগ্রসর সম্প্রদায়ের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন। চক্ষু হাসপাতাল আমাদের চক্ষু রোগের আধুনিক চিকিৎসা দিয়েছে। এতে আমাদের সম্প্রদায়ের ৩ শ' মানুষ উপকৃত হয়েছেন। এভাবে প্রতিটি সরকারি সেবাদানকারী সংস্থা এগিয়ে এলে আমরা আর অনগ্রসর থাকব না।কোটালীপাড়া উপজেলার তেতুলবাড়ি গ্রামের দলিত সম্প্রদায়ের কুমদ রঞ্জন (৬৬) বলেন, ছানি অপারেশনের জন্য ২৫ জনকে বাছাই করে তারা বিনামূলে অপারেশন করে দেবে বলে জানিয়েছে। এতে আমাদের সম্প্রদায়ের অন্ত্মত ২৫ জন চোখের আলো ফিরে পেয়ে স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারবে। ক্যাম্পের কো-অর্ডিনেটর দীপক সরকার বলেন, প্রত্যন্ত্ম বিলে এ মেগা আই ক্যাম্প করতে আমাদের সবাইকে প্রচুর পরিশ্রম করতে হয়েছে। ক্যাম্প থেকে শিক্ষার্থী ও দলিত সম্প্রদায়ের ১ হাজারের বেশি রোগী চিকিৎসা নিয়েছে। এ কারণে দৃষ্টি দিবসের এ ক্যাম্পটি সফল হয়েছে।সাইটসেভার্সের পিআইও মমিনুল হক বলেন, ছানি অপারেশনের জন্য ২৫ জন দলিত সম্প্রদায়ের রোগীকে বাছাই করা হয়েছে। তাদের হাসপাতালে নিয়ে বিনামূল্যে অপারেশন করা হবে। অপারেশনের সব খরচ আমরা ব্যয় করবো।গোপালগঞ্জ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব চক্ষু হাসপাতালের পরিচালক প্রফেসর ডা. সাইফুদ্দিন আহমেদ বলেন, টাকা খরচ করে যাদের হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা গ্রহন বা অপারেশন করানোর সঙ্গতি নেই, তাদের চক্ষু চিকিৎসা নিশ্চিত করতেই গ্রামে গিয়ে আমরা এ ক্যাম্পের আয়োজন করে যাচ্ছি।
সমকাল সুহৃদ সমাবেশ , চোখের আধুনিক চিকিৎসা, গোপালগঞ্জ
'শিগগিরই পেঁয়াজের মূল্য স্বাভাবিক হবে'
প্রকাশ: ০১ অক্টোবর ২০১৯ | ১১:৩২ | আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০১৯ | ০৫:৫৭
দেশের কোনও বাজারেই পেঁয়াজের ঘাটতি নেই। শিগগিরই পেঁয়াজের মূল্য স্বাভাবিক হয়ে আসবে। ফলে ভোক্তাদের আতঙ্কিত হবার কোনও কারণ নেই।মঙ্গলবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য জানানো হয়েছে। খবর বাসসের এতে জানানো হয়েছে, দেশে পেঁয়াজের মূল্য ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) এর মাধ্যমে ট্রাক সেলে ঢাকা শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে ন্যায্যমূল্যে পেঁয়াজ বিক্রি শুরু করেছে। এতদিন ১৬টি ট্রাকের মাধ্যমে প্রতি কেজি ৪৫ টাকা মূল্যে পেঁয়াজ বিক্রি হতো, মঙ্গলবার থেকে ট্রাক সেলের সংখ্যা ৩৫ টিতে উন্নীত করা হয়েছে। এতে স্বল্প আয়ের মানুষ ন্যায্য মূল্যে পেঁয়াজ ক্রয় করার সুযোগ পাচ্ছেন।সরকারি হিসাব মতে, দেশে বছরে মোট পেঁয়াজের চাহিদা প্রায় ২৪ লাখ মেট্রিক টন। এর মধ্যে গত ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরে দেশে পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছে ২৩.৩০ লাখ মেট্রিক টন। এর ৩০ শতাংশ পেঁয়াজ স্বাভাবিকভাবেই নষ্ট হয়। পেঁয়াজের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে বছরে আমদানি হয়ে থাকে ৮ থেকে ১০ লাখ মেট্রিক টন। হিসাব মোতাবেক দেশে পেঁয়াজের কোনও সংকট নেই। দেশের পেঁয়াজ সমৃদ্ধ অঞ্চলগুলোর পাইকারি হাট-বাজারে বিপুল পরিমান পেঁয়াজ ক্রয়-বিক্রয় হচ্ছে, ফলে সারা দেশের হাট-বাজারগুলোতে দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ পর্যাপ্ত। বাজারে দেশি ও আমদানিকৃত পেঁয়াজের সরবরাহের কোন ঘাটতি নেই।সহজ পরিবহনের কারণে সারা বছরই ভারত থেকে প্রয়োজনীয় পেঁয়াজ আমদানি করা হয়। ভারতের মহারাষ্ট্র ও অন্য এলাকায় বন্যার কারণে পেঁয়াজের ফলন ব্যাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ফলে কিছুদিন আগে রপ্তানির ক্ষেত্রে ভারত প্রতি মেট্রিক টন পেঁয়াজের মিনিমাম এক্সপোর্ট প্রাইস (এমইপি) নির্ধারণ করে দিয়েছে। আগে প্রতি মেট্রিক টন পেঁয়াজের আমদানি মূল্য ছিল কম-বেশি ২৫০ মার্কিন ডলার। গত ১৩ সেপ্টেম্বর ভারত তা ৮৫০ মার্কিন ডলার নির্ধারণ করে দেয়। গত ২৯ সেপ্টেম্বর বিকেলে ভারত কর্তৃপক্ষ পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ ঘোষণা করে। বিকল্প হিসেবে বাংলাদেশ মায়ানমার থেকে এলসি এবং বর্ডার ট্রেডের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় পেঁয়াজ আমদানি শুরু করেছে। বাংলাদেশ মিশর ও তুরস্ক থেকেও এলসি’র মাধ্যমে পেঁয়াজ আমদানি শুরু করেছে। এই পেঁয়াজ দেশে পৌঁছাতে শুরু করেছে, অল্প সময়ের মধ্যে দেশের বাজারে পর্যাপ্ত পেঁয়াজ স্বল্পমূল্যে পাওয়া যাবে। এছাড়া ভারত থেকে এবং দেশে উৎপাদিত নতুন পেঁয়াজ শিগগিরই বাজারে আসবে।বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ ও মূল্য স্বাভাবিক রাখতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করায় বাজারে ইতিবাচক প্রভাব পরতে শুরু করেছে। পেঁয়াজ আমদানি ক্ষেত্রে এলসি মার্জিন এবং সুদের হার হ্রাস করার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক পদক্ষেপ নিয়েছে।স্থল ও নৌ বন্দরগুলোতে আমদানিকৃত পেঁয়াজ দ্রুত ও অগ্রাধিকার ভিত্তিতে খালাসের জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও বন্দর কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে এবং ফোনে খোঁজ-খবর নেয়া হচ্ছে। সে মোতাবেক অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আমদানিকৃত পেঁয়াজ খালাস করা হচ্ছে।বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, দেশের বিভিন্ন হাট-বাজারে পেঁয়াজ দ্রুত ও অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পৌঁছানোর জন্য সরকার সবধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। পেঁয়াজ পরিবহন নির্বিঘ্ন করার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। দেশের ভোমড়া, সোনা মসজিদ, হিলি এবং বেনাপোল বন্দরে পেঁয়াজ আমদানি নির্বিঘ্ন করতে সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। সার্বিক পরিস্থিতি মনিটরিংয়ের জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উচ্চ পর্যায়ের ১০ জন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দিয়েছে। দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা মঙ্গলবার থেকে কক্সবাজার, চট্রগ্রাম, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, যশোর, দিনাজপুর, পাবনা, সাতক্ষীরা, সিরাজগঞ্জ ও শরীয়তপুর জেলার বাজারগুলোতে তদারকি শুরু করেছেন।এছাড়াও প্রতিটি জেলা প্রশাসন থেকেও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এলসি’র মাধ্যমে মিয়ানমার, মিশর ও তুরস্ক থেকে আমদানিকৃত পেঁয়াজ বন্দরে খালাস করা শুরু হয়েছে। এছাড়া মায়ানমার থেকে বর্ডার ট্রেডের মাধ্যমে টেকনাফ বন্দর দিয়ে আমদানিকৃত পেঁয়াজ এবং দেশের বিভিন্ন জেলার পাইকারি হাটগুলোতে বিক্রিত পেঁয়াজ দ্রুত সারাদেশে নির্বিঘ্নে পৌঁছে যাচ্ছে। পেঁয়াজের সরবরাহ স্বাভাবিক অবস্থায় রয়েছে।
পেঁয়াজের দাম
ফরিদপুরের আকলিমা হত্যার প্রধান আসামি গ্রেফতার
প্রকাশ: ০১ অক্টোবর ২০১৯ | ১১:৪৬
ফরিদপুরের চাঞ্চল্যকর আকলিমা হত্যার প্রধান আসামি আনিস শেখ ওরফে মো. আনিছুর রহমানকে (২৩) গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। গোপন সংবাদে মঙ্গলবার সকালে র‌্যাব-৮ ফরিদপুর ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক মেজর শেখ নাজমুল আরেফিন পরাগের নেতৃত্বে ফরিদপুর নিউমার্কেট এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে সন্ধায় সংবাদ সম্মলেন ওই হত্যাকাণ্ডের বিস্তারিত তথ্য জানায় র‌্যাব। সংবাদ সম্মলেনে মেজর শেখ নাজমুল আরেফিন পরাগ জানান, গত ২০ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ৮টার দিকে সদর উপজেলার রায়ের ডাঙ্গী নান্নু চেয়ারম্যানের লেক সংলগ্ন সিএ্যন্ডবি ঘাট থেকে আকলিমা বেগম ওরফে সোনীয়া (৩০) নামের এক নারীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।  তিনি জানান, এক পর্যায়ে ফরিদপুর র‌্যাব ক্যাম্প এই ক্লুলেস হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটনে ও অজ্ঞাতনামা আসামিদের চিহ্নিত করে গ্রেফতার করার জন্য ছায়া তদন্ত শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় ২৪ সেপ্টেম্বর ফরিদপুর র‌্যাব ক্যাম্প গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে হত্যার ঘটনার সাথে জড়িত রাজবাড়ী জেলার কালুখালি থানার পশ্চিম রতনদিয়া তাইজুল দেওয়ানের ছেলে  হত্যাকাণ্ডে জড়িত  মাক্রোবাস ড্রাইভার রাসেল দেওয়ানকে গ্রেফতার করে। র‌্যাবের এই কর্মকর্তা জানান, গ্রেফতারের পর ২৬ সেপ্টেম্বর রাসেল আদালতে আকলিমা হত্যাণ্ডের বিস্তারিত বর্ণনা দিয়ে  স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। পরে মঙ্গলবার ফরিদপুর নিউমার্কেট এলাকা থেকে আনিস শেখকে গ্রেফতার করা হয় গ্রেফতারের সময় আসামি আনিসের কাছ থেকে একটা মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
ফরিদপুর
লজ্জা এড়ালেও মাথা হেট জিদানের
প্রকাশ: ০১ অক্টোবর ২০১৯ | ১৩:২৯
এক মৌসুমে এমনি এমনি দুই কোচ বরখাস্ত করেনি রিয়াল মাদ্রিদ। জিদানকে শুধু শুধু ডেকে আনেনি। লা লিগা, চ্যাম্পিয়নস লিগ সবখানেই নিজেদের সেরা প্রমাণ করতে হবে রিয়ালকে। লা লিগায় জিদানের দল পয়েন্ট হারিয়েও শীর্ষে আছে। তবে চ্যাম্পিয়নস লিগে গ্রুপ পর্বের প্রথম দুই ম্যাচেই জয়হীন লস ব্লাঙ্কোসরা। প্রথম ম্যাচে পিএসজির বিপক্ষে ৩-০ গোলের বড় হার। দ্বিতীয় ম্যাচে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে শেষের গোলে ক্লাব ব্রুজের বিপক্ষে ২-২ গোলের সমতা নিয়ে মাঠ ছাড়ে রিয়াল। কোন রকম লজ্জা এড়ায়।ম্যাচের ৯ মিনিটের মাথায় ইমানুয়েল ডেনিস গোল করে ব্রুজকে এগিয়ে নেয়। আনকোরাভাবে গোল খান চেলসির সাবেক বেলজিয়াম গোলরক্ষক থিবো কর্তোয়া। ইমানুয়েল বলে শট নেওয়ার আগেই তিনি লুটিয়ে পড়েন। ভুল করে অন্য পায়ে আলতো টাস লেগে কর্তোয়ার চোখের সামনে দিয়ে গোল হয়ে যায়।ছবি: ডেইলি মেইলএরপর ম্যাচের ৩৯ মিনিটে আবার গোল খায় রিয়াল। ক্লাব ব্রুসের ত্রাতা আবার সেই ডেনিস। রিয়ালের রক্ষণভাগ ওপরে উঠে গেলে সুযোগ পেয়ে যান তিনি। তবে এখানেও ভুল আছে কর্তোয়ার। তিনি গোল ছেড়ে হুট করে এগিয়ে আসলে সহজে গোলে শট নেওয়ার সুযোগ পেয়ে যান ডেনিস। রিয়ালের রক্ষণভাগ এগিয়ে আসলেও তাই কাজ হয়ন। প্রথমার্ধে ২-০ গোলের লিড নিয়ে মাঠ ছাড়ে সফরকারীরা। কর্তোয়ার ওপর বিরক্ত রিয়াল কোচ জিদান দ্বিতীয়ার্ধে তাকে আর মাঠে নামায়নি।দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে অবশ্য রিয়াল ঘুরে দাঁড়ায়। ম্যাচের ৫৫ মিনিটে গোল করে ব্যবধান কমান রিয়াল অধিনায়ক সের্গিও রামোস। তবে তার গোল নিয়ে আছে বিতর্ক। আরও একবার বিতর্কিত ভিএআর। এরপর ম্যাচের শেষ সময়ে (৮৫ মিনিটে) গোল করেন রিয়ালের আরেক ডিফেন্ডার কাসেমিরো। ব্রাজিলের এই ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডারের গোলে সমতা নিয়ে মাঠ ছাড়ে রিয়াল।তবে লজ্জার রেকর্ডে তার আগেই পা দেয় লস ব্লাঙ্কোসরা। ইউরোপের প্রতিযোগিতায় টানা তিন ম্যাচে ঘরের মাঠে অন্তত দুটি করে গোল খাওয়ার রেকর্ড করে তারা। রিয়ালের হয়ে এ ম্যাচেও আলো ছড়াতে পারেননি সাবেক চেলসির আরেক বেলজিয়াম তারকা এডেন হ্যাজার্ড। রিয়ালের হয়ে পাঁচটি অফিসিয়াল ম্যাচ খেলেও গোলহীন এই ফরোয়ার্ড। জিদানের জন্য যা চিন্তার বড় কারণ।
খেলা, ফুটবল, চ্যাম্পিয়নস লিগ, রিয়াল-ক্লাব ব্রুজ
কার গুদামে কত পেঁয়াজ
প্রকাশ: ০১ অক্টোবর ২০১৯ | ১৪:৪০
ঢাকা, চট্টগ্রাম, সাতক্ষীরা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও কক্সবাজারের ৩৫ ব্যবসায়ী নিয়ন্ত্রণ করছেন পেঁয়াজের বাজার। এসব ব্যবসায়ীর গুদামে রয়েছে আমদানিকৃত বেশিরভাগ পেঁয়াজ। এদের একটি অংশ মজুদ করেছে দেশি পেঁয়াজ। আরেকটি অংশ মজুদ করেছে মিয়ানমার থেকে আমদানিকৃত পেঁয়াজ। আরেকটি গ্রুপের কাছে আছে মিসর ও তুরস্ক থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ। বাজার বুঝে গুদাম থেকে পেঁয়াজ বের করছেন তারা। তাই পর্যাপ্ত পেঁয়াজ আমদানির পরও নিয়ন্ত্রণে আসছে না বাজার।কক্সবাজারের টেকনাফ স্থলবন্দরে গতকাল মঙ্গলবারও ৫৭০ টন পেঁয়াজ এসেছে। একই রুট দিয়ে আগের দিন সোমবারও এসেছে ৫৩৬ টন পেঁয়াজ। টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়ে টানা দু'দিন এক হাজার টনেরও বেশি পেঁয়াজ আমদানির ঘটনা এটিই প্রথম। প্রসঙ্গত, গত এক মাসে এ রুট দিয়ে তিন হাজার ৫৭৩ টন পেঁয়াজ এসেছে। স্থলবন্দর প্রতিষ্ঠার পর এক মাসে এত পেঁয়াজ আগে কখনোই আসেনি। চট্টগ্রাম  বন্দর দিয়েও গত দু'দিনে এসেছে স্মরণকালের সর্বোচ্চ পেঁয়াজ।বিপুল পরিমাণ পেঁয়াজ আসার পরও কারা সেটি গুদামজাত করছে, কেন পেঁয়াজের দাম এভাবে বাড়ানো হচ্ছে, তা নিয়ে কঠোরভাবে কাজ করছে না মনিটরিং টিম। চট্টগ্রামে এখন পর্যন্ত দেখা মেলেনি মনিটরিং টিমের কাউকে। তবে গতকাল চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পাইকারি মোকাম খাতুনগঞ্জের পেঁয়াজের বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছেন। ৪২-৪৩ টাকায় কেনা পেঁয়াজ ৮০-৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে বলে হাতেনাতে প্রমাণও পেয়েছেন তারা। এভাবে অধিক মুনাফায় আর পণ্য বিক্রি করবেন না বলে তাৎক্ষণিকভাবে ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলামের কাছে মুচলেকা দিয়েছেন। যতক্ষণ ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন, ততক্ষণ ৫০ থেকে ৬০ টাকায় কিছু পেঁয়াজ বিক্রিও করেছেন তারা। কিন্তু ম্যাজিস্ট্রেট যাওয়ার পর আবার ৭০ থেকে ৮০ টাকায় বেচাকেনা হয়েছে পেঁয়াজ। গতকাল সতর্ক করেই খাতুনগঞ্জে অভিযান সীমাবদ্ধ রেখেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। কিন্তু খাতুনগঞ্জে যারা পণ্য গুদামজাত করেছে, গতকালও হানা দেওয়া হয়নি তাদের গুদামে।ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলাম বলেন, 'সোম ও মঙ্গলবার টানা দু'দিন সতর্ক করা হয়েছে ব্যবসায়ীদের। সিন্ডিকেট করে তারা যে পেঁয়াজের দাম বাড়াচ্ছেন, হাতেনাতে এর প্রমাণও পেয়েছি। ৫০ থেকে ৬০ টাকায় পেঁয়াজ বিক্রি করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তারা। কঠোরভাবে এটি মনিটর করা হবে। ভ্রাম্যমাণ আদালত চলে আসার পর যারা ফের দাম বাড়িয়েছেন, তাদের তথ্যও সংগ্রহ করছেন গোয়েন্দারা।' বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মনিটরিং টিমের অধীনে এ অভিযান পরিচালনা হয়েছে কি-না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'জেলা প্রশাসনের অধীনেই অভিযান চালানো হয়েছে। মনিটরিং টিমের সঙ্গে এ আদালতের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।' জানা গেছে, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মনিটরিং টিমে চট্টগ্রামের প্রতিনিধিত্ব করছে এএইচএম আহসান। তিনি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে শাখা এফটিএ-১-এর যুগ্ম সচিব।কার গুদামে কত পেঁয়াজ :ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ থাকায় এখন বাজার নিয়ন্ত্রণ করছেন মিয়ানমারের ১০-১২ ব্যবসায়ী। তাদের মধ্যে শীর্ষ পাঁচ ব্যবসায়ীর কাছে আছে আমদানিকৃত পেঁয়াজের ৮০ শতাংশ। টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়ে গতকাল মঙ্গলবারও ৫৭০ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে।এর মধ্যে এমএস ট্রেডিংয়ের মালিক মো. হাসেমের কাছে আছে ১৯৯ দশমিক ৬৮০ টন, নুরুল কায়েস সাদ্দামের কাছে ৯৯ দশমিক ৮০০ টন, জিন্নাহ অ্যান্ড ব্রাদার্সের মালিক শওকত আলমের কাছে ৫৯ দশমিক ৮৮০ টন, এশিয়া এন্টারপ্রাইজের সাইফুদ্দিনের কাছে ৫৯ দশমিক ৮৮০ টন, মো. নাছিরের কাছে ৩১ দশমিক ৯০ টন, কেএম ট্রেডিংয়ের মালিক মো. আলম বাহাদুরের কাছে ১৯ দশমিক ৬০০ টন, গ্লোবাল লজিস্টিক ইন্টারন্যাশনালের কাছে আছে ৯৯ দশমিক ৮০ টন পেঁয়াজ।সোমবার আসা ৫৩৬ টন পেঁয়াজের মধ্যে যদু চন্দ্র দাশের কাছে আছে ১১৮ দশমিক ৫০ টন, শওকত আলমের কাছে সাড়ে ৬৬ টন, আরাফাতের কাছে ৫৫ দশমিক ৩৫ টন, সাইফুদ্দিনের কাছে ৫০ টন, আবু আহমদের কাছে সাড়ে ৪০ টন এবং মহসিনের কাছে সাড়ে ১৭ টন পেঁয়াজ। গত এক মাসে টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়ে আসা তিন হাজার ৫৭৩ টন পেঁয়াজও ঘুরেফিরে এনেছেন এই ১০-১২ ব্যবসায়ী। মিয়ানমার থেকে আমদানিকৃত পেঁয়াজের এখন ৮০ শতাংশ মজুদ আছে তাদের কাছে।আমদানিকারকদের সঙ্গে কারসাজি করে খাতুনগঞ্জে যেসব কমিশন এজেন্ট ও আড়তদার পেঁয়াজের দাম বাড়াচ্ছেন বলে গোয়েন্দারা নিশ্চিত হয়েছেন, তাদের মধ্যে আছে- মেসার্স হাজি অছিউদ্দিন সওদাগর, মেসার্স আবদুল আউয়াল, মেসার্স শাহজালাল ট্রেডার্স, মেসার্স বাগদাদী করপোরেশন, এসএন ট্রেডার্স ও সোনালি ট্রেডার্স। তাদের কাছে এখন মজুদ আছে সবচেয়ে বেশি পেঁয়াজ। অন্যদিকে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে তুরস্ক ও মিসর থেকে আসা পেঁয়াজের মজুদ আছে তিন ব্যবসায়ীর কাছে। তাদের মধ্যে ঢাকার হাফেজি করপোরেশনের কাছে ১৩০ টন, জেনি এন্টারপ্রাইজের কাছে ১৫৬ টন ও এনএস ইন্টারন্যাশনালের কাছে আছে ৭৮ টন পেঁয়াজ। দেশি ও ভারতীয় পেঁয়াজের সবচেয়ে বেশি মজুদ আছে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবনগর এলাকার মেসার্স টাটা ট্রেডার্স, সাতক্ষীরার মেসার্স দীপা এন্টারপ্রাইজ, রিপা ট্রেডার্স ও ঢাকা ট্রেডার্সে। পেঁয়াজ মজুদ রেখে এরা তা বেশি দামে বিক্রি করতে কমিশন এজেন্টদের বাধ্য করছে বলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের কাছেও স্বীকার করেন খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীরা।সরেজমিন চিত্র :খাতুনগঞ্জে অভিযান চালিয়ে পেঁয়াজ সিন্ডিকেটের ভয়াবহ কারসাজি দেখতে পেয়েছেন ম্যাজিস্ট্রেট। মিয়ানমারসহ বিভিন্ন দেশ থেকে আসা পেঁয়াজ ক্রয়মূল্যের চেয়ে দ্বিগুণ বেশি দামে বিক্রির প্রমাণও পেয়েছেন তারা। মেসার্স অছিউদ্দিন ট্রেডার্স মিয়ানমার থেকে আসা প্রতি কেজি পেঁয়াজ সোমবার কিনেছে ৪২ টাকায়। কিন্তু তারা তা বিক্রি করছিল ৭৫ থেকে ৮৯ টাকায়। মেসার্স আবদুল আউয়ালের হিসাব পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, প্রতিষ্ঠানটি গত ১১ সেপ্টেম্বর প্রতি কেজি ভারতীয় পেঁয়াজ ৪২ টাকা, ১৫ সেপ্টেম্বর ৫৬ টাকা, ২৪ সেপ্টেম্বর ৬০ টাকা, এর দু'দিন পর ৫৮ টাকা ও গত রোববার ৫২ টাকা বিক্রি করে। কিন্তু সোমবার একই পেঁয়াজ ৯০ টাকা দরে বিক্রি করেছে তারা। আর শাহজালাল ট্রেডার্সের নথিতে দেখা যায়, ২৫ ও ২৮ সেপ্টেম্বর তারা প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি করেছে ৬০ টাকা দরে। কিন্তু এখন বিক্রি করছে ৮০ থেকে ৯০ টাকায়। একই চিত্র ছিল বাগদাদী করপোরেশন ও এসএন ট্রেডার্সেও।বেশি দামে বিক্রি না করার মুচলেকা দিলেন ব্যবসায়ীরা : কম দামে কেনা পেঁয়াজ আর বেশি দামে বিক্রি করবেন না বলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলামের কাছে মুচলেকা দিয়েছেন খাতুনগঞ্জের পাইকারি ব্যবসায়ীরা। পেঁয়াজের দাম তাৎক্ষণিকভাবে কেজিপ্রতি ২০-৩০ টাকা কমিয়ে বিক্রি করেন তারা। কিন্তু ম্যাজিস্ট্রেট যাওয়ার পর আবার পাইকারি মোকামে বাড়তি দামে বিক্রি হতে থাকে পেঁয়াজ। অথচ কম দামে কেনা পেঁয়াজ বেশি দামে বিক্রি করা হবে না বলে গতকাল মুচলেকা দেন হামিদুল্লাহ মিয়া মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।এদিকে আদালতের কাছে মুচলেকা দেওয়া প্রসঙ্গে হামিদ উল্লাহ মিয়া মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ইদ্রিস মিয়া বলেন, 'খাতুনগঞ্জে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। মেসার্স হাজি অছি উদ্দিন ট্রেডার্স কম দামে পণ্য বিক্রি করবে বলে মুচলেকা দিয়েছে আদালতকে। এতে সাক্ষী হিসেবে স্বাক্ষর করেছে আড়তদার সমিতি। পরে মেসার্স খাজা ট্রেডার্সকে ১০ হাজার টাকা জরিমানাও করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।' মেসার্স হাজি অছি উদ্দিন সওদাগরের পক্ষে মুচলেকায় স্বাক্ষর করে মো. রিগ্যান। মুচলেকায় তিনি উল্লেখ করেন, 'সরকারনির্ধারিত স্বাভাবিক বাজারমূল্য থেকে অতিরিক্ত মূল্যে পেঁয়াজ বিক্রি করব না। যদি অতিরিক্ত মূল্যে পেঁয়াজ বিক্রি করি তাহলে রাষ্ট্রীয় আইন অনুযায়ী যে কোনো শাস্তি মেনে নিতে বাধ্য থাকব।' চাকতাই-খাতুনগঞ্জ আড়তদার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম এ মুচলেকায় সাক্ষী হিসেবে স্বাক্ষর করেন। তিনি বলেন, 'আমদানিকারকরা বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রি করতে বিক্রেতাদের চাপ দিচ্ছেন। চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও সাতক্ষীরার কয়েকজন আমদানিকারক বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রি না করলে ভবিষ্যতে মাল দেবে না বলেও সতর্ক করেছেন। আমদানিকারকের কাছ থেকে বেশি দামে পণ্য কিনলে কম দামে বিক্রি করা সম্ভব হয় না।' টেকনাফ স্থলবন্দরের অন্যতম পেঁয়াজ আমদানিকারক শওকত আলম বলেন, 'আমদানিকারকের প্রতিনিধি হিসেবে পেঁয়াজ আমদানি করি। নূ্যনতম লাভে এটি বিক্রি করা হয়। কারসাজি হয় পাইকারি পর্যায়ে।'
পেঁয়াজের বাজার, পেঁয়াজে
নারী শ্রমিকের নতুন চ্যালেঞ্জ
প্রকাশ: ০১ অক্টোবর ২০১৯ | ১৪:৪৩
জিডিপির কনসেপ্ট সম্পর্কে যাদের ভালো জানা নেই, তাদের জ্ঞাতার্থে জানাচ্ছি, পাঁচটি কম্পোনেন্টের ভিত্তিতে একটি দেশের জিডিপি বা গ্রস ডমেস্টিক প্রোডাক্ট পরিমাপ করা হয় :এক বছরে মোট অভ্যন্তরীণ ভোগ, প্রাইভেট খাতের বিনিয়োগ, সরকারি ব্যয় (পৌনঃপুনিক ব্যয় এবং উন্নয়ন ব্যয়) এবং রফতানি আয়ের যোগফল থেকে আমদানি ব্যয় বিয়োগ করলে জিডিপি পাওয়া যায়। সাম্প্রতিক সময়ে দেখা যাচ্ছে, অনেক উন্নয়নশীল দেশে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার সন্তোষজনক পর্যায়ে উন্নীত হলেও এই উচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্থনীতিতে কর্মসংস্থানপ্রত্যাশী নারী-পুরুষদের জন্য যথাযথ সংখ্যক কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পারছে না। এই সমস্যাকে উন্নয়ন ডিসকোর্সে 'জবলেস গ্রোথ সিনড্রোম' নামে অভিহিত করা হয়। আসলে জিডিপির প্রবৃদ্ধি যদি প্রধানত ভোগ, সরকারি ব্যয় ও রফতানিচালিত হয় এবং বিনিয়োগ-জিডিপি অনুপাত যদি যথেষ্ট গতিতে না বাড়ে, তাহলে এই 'জবলেস গ্রোথ সিনড্রোম' দেখা দিতে পারে। আবার প্রায় সব আধুনিক প্রযুক্তি যেহেতু উন্নত পুঁজিবাদী দেশে উদ্ভাবিত হচ্ছে, সে জন্য এই নতুন নতুন প্রযুক্তি স্বাভাবিকভাবেই পুঁজিঘন এবং শ্রম-সাশ্রয়ী হয়ে থাকে। এ কারণেও উন্নয়নশীল দেশগুলো ওই শ্রম-সাশ্রয়ী প্রযুক্তি আমদানি করে ব্যাপকভাবে উৎপাদনে প্রয়োগ করলে 'জবলেস গ্রোথ সিনড্রোম' গুরুতর সমস্যা হিসেবে উদ্ভূত হয়।দৈনিক প্রথম আলোর ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯ তারিখের পেছনের পৃষ্ঠার হেডলাইন- 'গার্মেন্টসে নারী শ্রমিক কমছে'। এতে ব্যাখ্যা করা হয়েছে, এ খাতে নারীর অংশগ্রহণ আশঙ্কাজনকভাবে কমে যাওয়ার মূল কারণ প্রযুক্তিগত পরিবর্তন। এখানেই বাংলাদেশের জন্য ভবিষ্যতের একটা বড় বিপদের 'অশনিসংকেত' পাওয়া যাচ্ছে। আজকের কলামটা এই বিষয়েই। বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের বিকাশের প্রাথমিক পর্বে, মানে বিংশ শতাব্দীর আশি ও নব্বইয়ের দশকে গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিগুলোতে কর্মসংস্থান হওয়া শ্রমিকদের ৯০ শতাংশেরও বেশি ছিলেন নারী। ওই ফ্যাক্টরিগুলোর সিংহভাগই ছিল 'কাটিং অ্যান্ড মেকিং', মানে সেলাইনির্ভর ওভেন গার্মেন্ট ফ্যাক্টরি; নারী শ্রমিকরা যে কাজগুলোতে পুরুষদের চেয়ে বেশি পারদর্শিতা অর্জন করতে সক্ষম হতেন। অর্থাৎ অর্থনৈতিক বিচারে নারী শ্রমিকদের উৎপাদনশীলতা ছিল বেশি; কিন্তু মজুরি ছিল কম। এই দুটি বৈশিষ্ট্য থাকলেই শ্রমকে 'সস্তা শ্রম' সংজ্ঞায়িত করা যায়। ওই পর্যায়ে নারী শ্রমিকদের নিয়মিতভাবে অনেক বেশি সময় খাটিয়ে নেওয়া হতো; কিন্তু নব্বই দশক থেকে নিটওয়্যার শিল্প দ্রুত বিকশিত হওয়ার পর নিটওয়্যার ফ্যাক্টরিগুলোতে পুরুষ শ্রমিকের কর্মসংস্থান নারীদের চেয়ে দ্রুত হারে বাড়তে শুরু করে। ফলে যুক্তভাবে ওভেন এবং নিটওয়্যার এ দুই ধরনের তৈরি পোশাক শিল্পের মোট শ্রমিকের মধ্যে নারী শ্রমিকের অনুপাত কমতে শুরু করে।বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর ২০১৩ সালের এক জরিপ দেখাচ্ছে, ওই বছর পোশাক খাতে কর্মরত মোট ২৯ লাখ ৯৭ হাজার শ্রমিকের মধ্যে নারী ছিলেন ৫৬ দশমিক ৮৬ শতাংশ, আর পুরুষ ছিলেন ৪৩ দশমিক ১৪ শতাংশ। ২০১৮ সালের পরিসংখ্যান ব্যুরোর জরিপে দেখা যাচ্ছে, মোট ৩৩ লাখ ১৫ হাজার গার্মেন্ট শ্রমিকের মধ্যে পুরুষের অনুপাত ৫৩ দশমিক ৮২ শতাংশে পৌঁছে গেছে এবং নারীর অনুপাত কমে ৪৬ দশমিক ১৮ শতাংশে এসে দাঁড়িয়েছে। আরও লক্ষণীয়, পোশাক শিল্পে নারী শ্রমিকের মোট সংখ্যাও ২০১৩ সালের ১৭ লাখ ৪ হাজারের তুলনায় ২০১৮ সালে ১৫ লাখ ৩১ হাজারে নেমে এসেছে। বিংশ শতাব্দীর শেষ দুই দশকে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পে নারী শ্রমিকের সংখ্যা ৩০ লাখ ছাড়িয়ে গিয়েছিল বলে বিজিএমইএ দাবি করে আসছিল।নারী শ্রমিকের অংশগ্রহণ কমে যাওয়ার প্রধান কারণ বলা হচ্ছে, গত এক দশক ধরে পোশাক শিল্পে আধুনিক প্রযুক্তি ও যন্ত্রের ব্যবহার দ্রুত বেড়েছে। এসব যন্ত্র একই সঙ্গে অনেক কাজ করতে পারে। তাই আগে যেসব কাজ নারী শ্রমিকরা করতেন, সেগুলো এখন যন্ত্রের মাধ্যমেই হয়ে যাচ্ছে। এখন সুইয়িং, ফিনিশিং, কাটিং, এমব্রয়ডারি, নিটিং ও ওয়াশিং- মূলত এই ছয় ধরনের কাজ হয় বাংলাদেশে। নারীরা এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি কাজ করেন সুইয়িংয়ে। এর পর ফিনিশিং। অন্য কাজগুলোতে নারী শ্রমিকের অংশগ্রহণ তেমন নেই। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে এই নতুন কাজগুলোতে দক্ষতা অর্জনের ব্যাপারে নারী শ্রমিকরা নাকি তেমন আগ্রহ দেখান না। বরং পুরুষ শ্রমিকরা নতুন প্রযুক্তিতে পারদর্শিতা অর্জনে প্রশিক্ষণে প্রবল আগ্রহী। আর নারী শ্রমিকরা গড়ে শ্রমিক হিসেবে নাকি কাজ করেন সাত বছর। তারপর তারা সাংসারিক দায়িত্বে জড়িয়ে চাকরি ছেড়ে দেন। ফ্যাক্টরি ব্যবস্থাপনায়ও পোশাক খাতের মালিকরা নারীদের নিয়োগ দেন না মূলত সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গির কারণে। দক্ষ ও শিক্ষিত নারী ব্যবস্থাপকও পোশাক খাতে তেমন আগ্রহী হয়ে ওঠেননি। অন্যদিকে, এখন পোশাক শিল্পের মজুরি খানিকটা বৃদ্ধি পাওয়ায় পুরুষ শ্রমিকরাও এ খাতে কাজ পেতে বেশি আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।বিষয়টি নিয়ে গভীর ও বিস্তৃত গবেষণার প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। কারণ, এ দেশের শিল্পায়নে তৈরি পোশাক খাতকে একটি বড় ধরনের সাফল্য হিসেবে বিবেচনার পাশাপাশি এ খাতে ব্যাপক সংখ্যক নারী শ্রমিকের কর্মসংস্থানকে একটি 'বৈপ্লবিক অর্জন' আখ্যায়িত করা হয়। বাংলাদেশের পুরুষতান্ত্রিক সমাজে এই প্রথমবার প্রাতিষ্ঠানিক শিল্প শ্রমিক হিসেবে ব্যাপক হারে নারীরা বাড়ির বাইরে এসে কর্মে নিয়োজিত হওয়ায় এ ব্যাপারে সমাজের দৃষ্টিভঙ্গির যে ইতিবাচক পরিবর্তন হয়েছে, তাকে একটা 'বিপ্লব' বললে বাগাড়ম্বর হবে কি? সমাজে যেখানে মোল্লাদের ফতোয়াবাজি ১৯৭৫ সালের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় শক্তিশালী হয়ে চলেছে, সেখানে স্র্রোতের বিপরীতে নারী সমাজের ক্ষমতায়নে পোশাক শিল্পে নারীর ব্যাপক কর্মসংস্থান আশি ও নব্বই দশকে একটা 'বিপ্লব'ই ছিল!প্রশ্ন হলো, আধুনিক প্রযুক্তির বিকাশ ও বিস্তারের ফলে ক্রমেই কৃষি, শিল্প এবং সেবা ও বাণিজ্য খাতের সব উৎপাদন ক্ষেত্রে শ্রমিকের আনুপাতিক প্রয়োজন দিন দিন সংকুচিত হওয়ার যে প্রবণতা বিশ্বে শক্তিশালী হয়ে চলেছে, তাকে মোকাবেলায় আমাদের প্রস্তুতি কতটুকু? বাংলাদেশের মতো যেসব জনবহুল দেশে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ক্রমবর্ধমান, সেখানেই 'জবলেস গ্রোথ সিনড্রোম' পরিলক্ষিত হচ্ছে। যার ফলে দেশগুলোতে জিডিপি বৃদ্ধির মাধ্যমে বেকার সমস্যা যতখানি কমে আসার কথা, ততখানি কমানো যাচ্ছে না। অনেক উন্নয়নতাত্ত্বিক এ সমস্যাকে 'ক্রমহ্রাসমান এমপ্লয়মেন্ট ইলাসটিসিটি' বলে আখ্যায়িত করে থাকেন। কিন্তু এ সমস্যার সমাধান যে দুরূহ, সেটাও ক্রমে উন্নয়নচিন্তকদের লেখায় ফুটে উঠছে। চলমান চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের একটা প্রধান ডাইমেনশন হিসেবে উন্নত দেশের গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোতে 'আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্সে'র উদ্ভাবনকে যেভাবে অগ্রাধিকারে পরিণত করা হয়েছে, তার ফলে শ্রমঘন প্রযুক্তিকে পিছু হটিয়ে ক্রমেই যন্ত্র ও রোবটিক্সনির্ভর প্রযুক্তির ব্যবহার দ্রুত বাড়তে থাকবে। অতএব, প্রযুক্তি বিকাশের চারিত্র্যের কারণে বাংলাদেশের মতো বিপুল জনসংখ্যা অধ্যুষিত দেশের জন্য কর্মসংস্থান ইস্যুটা ভবিষ্যতে আরও জটিল হয়ে পড়বে। এ সমস্যা মোকাবেলা করতে হলে দেশের শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ পদ্ধতিকে যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দ্রুত আধুনিকায়নের পথেই এগোতে হবে।আমাদের সমাজের দরিদ্র ও প্রান্তিক অবস্থানের শিক্ষাবঞ্চিত নারীরা পোশাক শিল্পে তাদের সহজাত দক্ষতা অর্জন ক্ষমতার সহায়তায় উৎপাদনশীলতা বাড়াতে সক্ষম হয়েছিলেন বলেই বাংলাদেশ পোশাক শিল্পে সফলতা অর্জন করেছে। কিন্তু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জ্ঞাননির্ভর আধুনিক মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক বা উচ্চতর শিক্ষায় শিক্ষিত না হওয়ায় নারী শ্রমিকরা দক্ষ টেকনিশিয়ান হয়ে উঠতে পারেননি। তারা কম্পিউটার চালাতে পারছেন না; কম্পিউটারচালিত যন্ত্রপাতিও চালাতে অপারগ। অতএব তারা ছিটকে পড়ছেন জটিল প্রযুক্তি ব্যবহারকারী কাজগুলো থেকে। এমনকি আমাদের পোশাক শিল্পে যে দুই লাখের মতো দক্ষ বিদেশি টেকনিশিয়ান ও ব্যবস্থাপক লোভনীয় বেতনে কর্মরত, সে চাকরিগুলোতে আমাদের দেশের দক্ষ টেকনিশিয়ান-প্রফেশনাল পাওয়া যাচ্ছে না বলে গার্মেন্টস মালিকরা অভিযোগ করে চলেছেন। ভারত, শ্রীলংকা, দক্ষিণ কোরিয়া ও চীন থেকে এ ধরনের দক্ষ টেকনিশিয়ান ও ব্যবস্থাপক জোগাড় করতে তারা নাকি বাধ্য হচ্ছেন!শুধু পোশাক শিল্পেই নয়; 'জবলেস গ্রোথ' পুরো অর্থনীতিতেই সমস্যা হিসেবে গেড়ে বসেছে। দেশে প্রতি বছর প্রায় ১৮ লাখ কর্মসংস্থ্থানপ্রত্যাশী মানুষ শ্রমবাজারে যুক্ত হচ্ছেন। তাদের মধ্য থেকে ৬-৭ লাখ মানুষের যেনতেনভাবে বিদেশে অভিবাসন অব্যাহত থাকায় একটা 'সেফটি ভাল্ক্ব' হিসেবে এই প্রবাহ বেকার সমস্যাকে আড়াল করে চলেছে। আদম ব্যাপারীদের লাখ লাখ টাকার খাঁই মিটিয়ে দেশের যে অভিবাসনেচ্ছু তরুণরা বিশ্বের পথে-প্রান্তরে প্রাণ হারাচ্ছে কিংবা সাগর-মহাসাগরে ডুবে মরছে, তাদের মানসিক সুস্থতা নিয়ে ক্ষমতাসীনরা যতই কটাক্ষ করুন, এই বিদেশে পালাতে মরিয়া তরুণরা শুধুই শিক্ষিত বেকারদের মধ্য থেকে আসছেন না; এটা দেশের গ্রামীণ-শহুরে নির্বিশেষে অর্ধ-বেকার যুবকদের মরণপণ জীবন-জীবিকার সংগ্রামও। অতএব, এই 'জবলেস গ্রোথ সিনড্রোম' থেকে মুক্তির পথ অন্বেষণ সময়ের প্রধান দাবি।
পোশাক শিল্প, ড. মইনুল ইসলাম
সেসব আওয়ামী লীগার গেলেন কোথায়?
প্রকাশ: ০১ অক্টোবর ২০১৯ | ১৪:৪৫
লেখার শুরুতে একজন ওহাব মিয়ার কথা দিয়ে শুরু করি। বর্তমান প্রজন্ম ওহাব মিয়ার কথা শোনার কথা নয়। আসল নাম এমএ ওহাব। বাড়ি চট্টগ্রামের হাটহাজারী। ১৯৭০ ও ১৯৭৩ সালে চট্টগ্রামের হাটহাজারী সংসদীয় এলাকা থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে প্রথমে প্রাদেশিক পরিষদ ও পরে জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। এরপর ওই এলাকা থেকে আওয়ামী লীগের কোনো প্রার্থী আর কোনো নির্বাচনে বিজয়ী হতে পারেননি। ওহাব মিয়া পেশায় একজন কৃষক ছিলেন। নিজের সামান্য জমিতে নিজেই চাষ করতেন। অনেকটা জন্ম থেকেই আওয়ামী লীগের একজন তৃণমূল কর্মী থেকে সংগঠক ও নেতা। ওহাব মিয়াকে মানুষ শ্রদ্ধা করত তার সততার জন্য। বঙ্গবন্ধু সত্তরের নির্বাচনে তাকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে প্রাদেশিক পরিষদে মনোনয়ন দিলে নির্বাচনের পোস্টার ছাপানোর জন্য এলাকার মানুষকে চাঁদা তুলতে হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর অনেক অসাধারণ গুণের মধ্যে একটি হচ্ছে, তিনি কাকে দিয়ে কী কাজ হবে তা জানতেন, মানুষ চিনতে ভুল করতেন না। একবারই ভুল করেছিলেন, সেটি স্বাধীনতার পরে। তিনি খন্দকার মোশতাক, জেনারেল জিয়া, মাহবুব-উল আলম চাষী, কুমিল্লা থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য জহিরুল কাইয়ুম প্রমুখকে চিনতে ভুল করেছিলেন। এর জন্য তিনি নিজের জীবন দিয়ে তার মূল্য দিয়েছেন। এরা সবাই বঙ্গবন্ধু হত্যার ষড়যন্ত্রের সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিলেন। এদের অনেকেই বাকশালেও যোগ দিয়েছিলেন। আবার ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর লাশ ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরে সিঁড়িতে রেখে মোশতাকের মন্ত্রিসভায় যোগ দেন কেউ কেউ।ওহাব মিয়া চট্টগ্রাম কলেজে পড়ার সময় রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন, ভাষা আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন। সত্তরের নির্বাচনে তিনি মুসলিম লীগের প্রার্থী আলি আহম্মদকে বিপুল ভোটে পরাজিত করে প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তিনি এ যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। দেশ স্বাধীন হলে বঙ্গবন্ধু তাকে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রথম চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগদান করেন। '৭৩-এর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ওহাব মিয়া ৩১ হাজারেরও বেশি ভোটে জাসদের আবদুস সোবহানকে পরাজিত করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন। ওহাব মিয়া যেভাবে সাদামাটা জীবন শুরু করেছিলেন, ঠিক সেভাবেই ২০১১ সালের ২৮ অক্টোবর মৃত্যুবরণ করেন। তার দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি কখনও অর্থবিত্তের লোভ করেননি। অনেক সময় হয়তো কেউ একজন খবর নিয়ে এলেন, ওহাব মিয়াকে বঙ্গবন্ধু তাঁর সঙ্গে ঢাকায় দেখা করতে বলেছেন। তিনি তখন মাঠে লাঙল দিয়ে চাষ করছেন। বাড়িতে গিয়ে পুকুরে গোসল করে হাতে ধোয়া পাজামা আর পাঞ্জাবিটা পরে রাবারের জুতো জোড়া পায়ে দিয়ে রাতের ট্রেনের তৃতীয় শ্রেণির টিকিট কেটে ঢাকা রওনা হয়েছেন। চট্টগ্রামের আর দুই কিংবদন্তি নেতা জহুর আহমদ চৌধুরী এবং আবদুল আজিজ (আজিজ মিয়া) দলের জন্য সবকিছু উৎসর্গ করেছেন। মুক্তিযুদ্ধের ঠিক আগে আগে আজিজ মিয়ার অকস্মাৎ মৃত্যু হলে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, চট্টগ্রামে তাঁর একজন সিপাহসালার অকাল মৃত্যু হলো জাতির এক অত্যন্ত ক্রান্তিকালে। বাংলাদেশের প্রথম উপরাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম। ঢাকায় তার কোনো বাড়ি নেই। দলের সভায় যোগ দিতে ময়মনসিংহ থেকে টিনের ছোট ট্রাঙ্ক নিয়ে ট্রেনে ঢাকা রওনা হয়েছেন। বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে এখনও অনেক ওহাব মিয়া বা সৈয়দ নজরুল ইসলাম আছেন; কিন্তু তারা কালো টাকা আর পেশিশক্তির কাছে পরাজিত এবং এই পরাজয়ের কারণ এক শ্রেণির দুর্বৃত্ত নামধারী রাজনীতিবিদদের অশ্নীল দৌরাত্ম্য। বর্তমান সময়ে এদের বেশিরভাগই আওয়ামী লীগের বিভিন্ন ছিদ্র দিয়ে দলে অনুপ্রবেশ করে বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া এবং তাঁর কন্যা শেখ হাসিনার বহুকষ্টে লালন করা দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে উইপোকার মতো কুরে কুরে খেয়ে শেষ করে দিচ্ছে। এরা আওয়ামী লীগ থেকে ছাত্রলীগ সব ক্ষেত্রে সদর্পে বিচরণ করছে।উইপোকাদের দলে অনুপ্রবেশ শুরু হয়েছিল ২০০৮ সালের সংসদ নির্বাচনের প্রাক্কালে, যখন আওয়ামী লীগের বিজয় নিশ্চিত ছিল। কারণ বিএনপি নিজের পাপের ভারে এতই ন্যুব্জ ছিল যে, তাদের পক্ষে আর উঠে দাঁড়ানো অনেকটা অসম্ভব ছিল। চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগের একজন ডাকসাইটে নেতা (বর্তমানে প্রয়াত) একেবারেই রাজনীতির সঙ্গে সম্পর্কবিহীন; কিন্তু অঢেল কালো টাকার মালিক তাকে মনোনয়ন পাইয়ে দিতে কত না চেষ্টা করলেন। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকন্যার দৃঢ়তার জন্য তিনি সফল হলেন না। পরে সেই ব্যক্তি বিএনপি নেতাদের কয়েক কোটি টাকা দিয়ে রাতারাতি মনোনয়ন বাগিয়ে নিলেন। নির্বাচনের আগের রাতে পুলিশের হাতে ধরা পড়লেন কয়েক বাক্স পাঁচশ' টাকার বান্ডিলসহ। নির্বাচনের দিন সেই ব্যক্তি হাজতেই কাটালেন। এমন বহু ব্যক্তি এখন শুধু আওয়ামী লীগের রাজনীতিতেই প্রবেশ করেননি, বেশ ঢাকঢোল পিটিয়ে সংসদ সদস্যও হয়েছেন। গত এক দশকে এত কালো টাকার মালিক হয়েছেন যে, তারা এখন খোদ বঙ্গবন্ধুকন্যাকে চ্যালেঞ্জ করার মতো দৃষ্টতা দেখাতে দ্বিধা করছেন না। তারা ভুলে গেছেন, শেখ হাসিনার ধমনিতে এমন একজন ক্ষণজন্মা পুরুষের রক্ত প্রবহমান, যিনি স্বাধীনতা-পরবর্তীকালে দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের কারণে নিজ দলের ২৩ জন জাতীয় সংসদ সদস্যকে বহিস্কার করতে দ্বিধা করেননি। শেখ হাসিনার চাওয়া বা পাওয়ার তো এখন আর কিছু নেই। তিনি টানা তিনবারসহ মোট চারবার বাংলাদেশের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। নিজেই তিনি একটি ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন। যেসব রাজনৈতিক টোকাই দলের জন্য এখন একটা বিরাট দায় হয়ে তার সামনে দাঁড়িয়েছে, তাদের কেন তিনি সহ্য করবেন? এসব রাজনৈতিক দুর্বৃত্তকে দল থেকে ডাস্টবিনে ফেলে দিলে তার লাভ ছাড়া ক্ষতির কিছু নেই।প্রশ্ন হচ্ছে, এসব রাজনৈতিক দুর্বৃত্ত আওয়ামী লীগে ঢুকল কীভাবে। যে টোকাই ফুটপাতে দোকান করত, যে ব্যক্তি ক'দিন আগেও ফ্রিডম পার্টি করত, যে কি-না খালেদা জিয়ার নিরাপত্তাপ্রধান ছিল, যার একমাত্র পেশা মাদক আর কালো ধান্ধা, যে বাটপাড় রাস্তায় মাইক লাগিয়ে অহর্নিশ বঙ্গবন্ধুকে জেনারেল জিয়ার পক্ষে গালাগাল করত, যে গলির মোড়ে মাস্তানি করত, যে তস্কর শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করেছে, যে চোরাকারবারি মানব পাচার থেকে শুরু করে দেশের অর্থ-সম্পদ পাচারের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত, সেই দুর্বৃত্তরা কীভাবে বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের বা সংস্থার কর্ণধার বনে যান? উত্তর একটাই। বাংলাদেশে টাকা দিলে বাঘের চোখও মেলে সংস্কৃতির বিস্ম্ফোরণ। সম্প্রতি ক্যাসিনো কাণ্ডে আটক হওয়া এক দুর্বৃত্ত তো বলেই দিল, এই দেশে শেখ হাসিনা ছাড়া কেউ ঠিক নেই। সে তো মিথ্যা বলেছে বলে মনে হওয়ার কোনো কারণ নেই। অন্যভাবে বলি, বাংলাদেশে শেখ হাসিনা ছাড়া সবাইকে কেনা যায়। কথাটা কি মিথ্যা? সার্বিক অবস্থা দেখলে মনে হবে, কথাটা একশ' ভাগ সত্য।১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের আগে দেশে এমন একটা পরিবেশ তৈরি হয়েছিল, যাতে অনেকে মনে করেছে, দেশটা পাকিস্তান থাকলেই ভালো ছিল। কারণ চারদিকে ষড়যন্ত্র তো ছিলই, তার ওপর আওয়ামী লীগের নাম করে এক শ্রেণির তস্কর তখন চারদিকে দাপিয়ে বেড়ানো শুরু করে দিয়েছিল। তাদের প্রধান কাজ ছিল নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মজুদদারি, লাইসেন্স-পারমিট ব্যবসা, মানুষের জায়গাজমি দখল, নিরপরাধ মানুষকে হয়রানি, চাঁদাবাজির মতো যত সব অপকর্ম। সবই করা হচ্ছে আওয়ামী লীগের নামে। বঙ্গবন্ধু চরম বিরক্ত হয়ে বললেন, 'মানুষ পায় সোনার খনি আর আমি পেলাম চোরের খনি।' বললেন, 'পাকিস্তানিরা সব নিয়ে গেছে, রেখে গেছে এই সব চোরের দল।' বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর তিনি সাড়ে তিন বছর বেঁচেছিলেন। এ সময় তিনি যতগুলো বক্তৃতা দিয়েছেন সংসদে ও সংসদের বাইরে, তার মূল ফোকাস ছিল দুর্নীতি আর চোরদের নিয়ে।মৃত্যুর আগে বঙ্গবন্ধুর চারপাশে একটি অদৃশ্য দেয়াল সৃষ্টি হয়েছিল। জনগণের নেতাকে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুকন্যার আমলেও একই জিনিসের পুনরাবৃত্তি দেখা যাচ্ছে। তিনি তাঁর চারদিকে তাকালে তা পরিস্কার বুঝতে পারবেন। যারা এই কাজগুলো করেন, তারা সবচেয়ে বেশি তাঁবেদার হন। সেটি যেমন রাজনীতিবিদদের মধ্যে আছে, ঠিক তেমনি আছে সামরিক-বেসামরিক আমলাদের মধ্যে। বঙ্গবন্ধু হত্যার ক্ষেত্র প্রস্তুত করার পেছনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা তো রেখেছিল বড় বড় কিছু আমলা, যেমন মাহবুব-উল আলম চাষী আর আবদুল মোমেন খান। চাষী কলকাতায় খন্দকার মোশতাকের ডান হাত ছিলেন। আবদুল মোমেন খান (বিএনপি নেতা মঈন খানের পিতা) বঙ্গবন্ধুর খাদ্য সচিব ছিলেন। '৭৪-এর খাদ্য সমস্যা সম্পর্কে স্বজ্ঞানে তিনি বঙ্গবন্ধুকে জানানো থেকে বিরত ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পর জিয়া আবদুল মোমেন খানকে প্রথমে তার খাদ্য উপদেষ্টা ও পরে তার খাদ্যমন্ত্রী বানিয়েছিলেন। কথায় বলে, আমলাতন্ত্র সবসময় পরবর্তী সরকারের জন্য কাজ করে। কথাটি সব সময়ের জন্য সত্য। সব সরকারে বেশ কিছু ভালো আমলা থাকেন; কিন্তু তাদের অবস্থা সবসময় কোণঠাসা।বাংলাদেশের রাজনীতিতে আর একজন সৈয়দ নজরুল ইসলাম বা আর একজন ওহাব মিয়া আসবে না। তবে বর্তমানে বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশে দুর্নীতির বিরুদ্ধে যে জিহাদ ঘোষণা করেছেন, তা যদি কোনো এক ষড়যন্ত্রের কারণে মাঝপথে বন্ধ হয়ে না যায়, তা হলে পরিস্থিতি কিছুটা হলেও উন্নতি হতে পারে। ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট ঘোষণা দিয়েছেন, দুর্নীতিবাজদের গুলি করে হত্যা করলে তা অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে না। এটি একটি চরম হঠকারী সিদ্ধান্ত বটে; কিন্তু তা সেই দেশের মানুষ গ্রহণ করেছে। বাংলাদেশে তেমনটা ঘটুক, তা কেউ চায় না। তবে মানুষ চায়, বঙ্গবন্ধুকন্যা দুর্নীতির বিরুদ্ধে যে যুদ্ধ শুরু করেছেন, তা যেন কোনো অবস্থাতেই মাঝপথে থেমে না যায়। দেশের স্বার্থের চেয়ে কারও ব্যক্তিগত বা গোষ্ঠীগত স্বার্থ বড় হতে পারে না।বিশ্নেষক ও গবেষক
রাজনীতি, আবদুল মান্নান
ব্যবসায়ীদের পকেটে ১৫০ কোটি টাকা
প্রকাশ: ০১ অক্টোবর ২০১৯ | ১৪:৪৮ | আপডেট: ০১ অক্টোবর ২০১৯ | ১৪:৫৮
দেশে পেঁয়াজের বাজার এখনও সিন্ডিকেটের কবলে। গত দু'দিনেই কারসাজি করে পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা ক্রেতাদের পকেট কেটে বের করে নিয়েছেন দেড়শ' কোটি টাকা। ভারত রোববার পেঁয়াজ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার পর ঢাকাসহ সারাদেশে পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে দেয় এই অসাধু ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট। এক দিনের ব্যবধানে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম বেশি নেওয়া হয় ৪০ টাকা। গতকালও সারাদেশে পেঁয়াজের দাম একশ' টাকার ওপরে বেচাকেনা হয়েছে। দাম বাড়েনি, তবে কমেওনি। বাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মনিটরিং জোরদারে নতুন করে ১০টি টিম গঠন করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। পাশাপাশি ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের বাজার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গতকাল রাজধানীর মিরপুর শাহআলী, মিরপুর ৬ নম্বর বাজার ও মোহাম্মদপুর টাউনহলসহ বিভিন্ন বাজারে অভিযান চালিয়ে বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রির অভিযোগে বেশ কয়েকজন দোকানদারকে জরিমানা করা হয়। এ ছাড়া জেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন সংস্থার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে সারাদেশে বাজারে অভিযান চলছে। নোয়াখালীতে গুদামভর্তি ও বাজারে প্রচুর সরবরাহ থাকা সত্ত্বেও ১০০ টাকা কেজি পেঁয়াজের দাম নেওয়ার অপরাধে চৌমুহনী ও মাইজদী পৌরবাজারের দুটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে ৪৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রোকনুজ্জামান খানের নেতৃত্বে র‌্যাব অভিযান পরিচালনা করে। এরপরও বাজারের চড়া দাম নিয়ন্ত্রণে আসেনি।রাজধানীসহ সারাদেশের বাজারে আগের দিনের মতো গতকাল খুচরায় প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ১১০ থেকে ১২০ ও আমদানি করা পেঁয়াজ ১০০ থেকে ১১০ টাকায় বিক্রি হয়। এই পেঁয়াজ দু'দিন আগে ছিল যথাক্রমে ৭৫ থেকে ৮০ ও ৭০ থেকে ৭৫ টাকা। সম্প্রতি মিয়ানমার থেকে ৪০ টাকা কেজিতে আমদানি করা পেঁয়াজ খুচরায় বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়। এতে গত দু'দিন প্রতি কেজি পেঁয়াজে ৩০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত অতিরিক্ত মূল্য গুনেছেন ক্রেতারা। খুচরা বিক্রেতারা বলেন, পাইকার ও আমদানিকারকরা একই হারে দাম বাড়ানোর ফলে খুচরায় এই দাম বেড়েছে। বড় এই ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে পেঁয়াজের অতিরিক্ত মূল্য বাগিয়ে নিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন তারা।দু'দিন ধরে রাজধানীর কারওয়ান বাজার ও পুরান ঢাকার শ্যামবাজারসহ সব পাইকারি আড়তে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ১০০ থেকে ১০৫ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ ৯০ থেকে ৯৫ ও মিয়ানমারের পেঁয়াজ ৮৫ থেকে ৯০ টাকায় বিক্রি হয়। মিয়ানমারের পেঁয়াজ এখন সব বাজারেই ভারতীয় বলে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। পাইকারি আড়তে দু'দিন আগে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ৫৮ থেকে ৬০ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ ৫৪ থেকে ৫৫ ও মিয়ানমারের পেঁয়াজ ৫০ থেকে ৫২ টাকা ছিল। পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধিতে বিক্রিও বেড়েছে। মিরপুর ১ নম্বর বাজারে শ্রীরাম ভান্ডারের পাইকারি ব্যবসায়ী কানাই লাল সাহা বলেন, পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ায় বিক্রিও বেড়েছে। অন্য সময়ে এই বাজারে দিনে ২০০ বস্তা পেঁয়াজ বিক্রি হলেও গত দু'দিনে এক হাজার বস্তার বেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে। কারওয়ান বাজারের পাইকারি পেঁয়াজ ব্যবসায়ী মো. আবদুল খালেক সমকালকে বলেন, বাজার স্বাভাবিক থাকলে দিনে ২০ বস্তা পেঁয়াজ বিক্রি হয়। আর গত দু'দিনে তিনি একাই ১৫০ বস্তা পেঁয়াজ বিক্রি করেছেন। রাজধানীর পেঁয়াজের বড় আড়ত শ্যামবাজারেও বিক্রি কয়েক গুণ বেড়েছে বলে জানান পাইকারি ব্যবসায়ীরা। গত দু'দিনে গড়ে প্রায় ৪০ হাজার টন পেঁয়াজ বেচাকেনা হয়েছে।বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, প্রতিদিন দেশে ছয় হাজার টন পেঁয়াজের চাহিদা রয়েছে। তবে ব্যবসায়ীদের মতে এই চাহিদা সাত হাজার টন। কম দামে আমদানি করা এবং দেশে মৌসুমে উৎপাদিত পেঁয়াজ অতিরিক্ত বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে এখন। এ ক্ষেত্রে আমদানিকারকদের বাড়তি কোনো ব্যয় হয়নি। তবুও ভারতের রফতানি বন্ধের ঘোষণায় কেজিতে ৪০ টাকা দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছেন তারা। এ হিসাবে গত দু'দিনে ৪০ হাজার টন পেঁয়াজ বিক্রিতে ১৬০ কোটি টাকা অতিরিক্ত মুনাফা করেছেন ব্যসায়ীরা। এ ক্ষেত্রে সংশ্নিষ্টরা মনে করেছেন, অতিরিক্ত মুনাফা রোধে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আইন ও কৃষি বিপণন আইন অনুযায়ী যৌক্তিক মূল্য বেঁধে দেওয়া উচিত।এ বিষয়ে কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির সমকালকে বলেন, অসাধু ব্যবসায়ীরা কারসাজি করে পেঁয়াজে অতিরিক্ত মুনাফা করছেন। এতে বাড়তি ব্যয়ের চাপে পড়েছে সাধারণ মানুষ। তিনি বলেন, গত দু'দিনে পেঁয়াজ ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট যৌক্তিক কারণ ছাড়াই দেড়শ' কোটি টাকার বেশি মুনাফা লুটে নিয়েছে। এ পরিস্থিতিতে দাম নিয়ন্ত্রণে মনিটরিং জোরদার করা উচিত।বাণিজ্য সচিব মো. জাফর উদ্দীন সমকালকে বলেন, বাজারদর নিয়ন্ত্রণে মনিটরিং জোরদার করা হয়েছে। গতকাল দেশের বিভিন্ন বাজারে অভিযান চালিয়ে অতিরিক্ত দামে বিক্রির অপরাধে জরিমানা করা হয়েছে। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানায়, ব্যবসায়ীদের পেঁয়াজ আমদানি বাড়ানো এবং নৈতিকতার সঙ্গে ব্যবসা পরিচালনার পরামর্শ দিয়েছে মন্ত্রণালয়। এর পরও কোনো ব্যবসায়ী পেঁয়াজ মজুদ কিংবা কৃত্রিম উপায়ে মূল্য বাড়ালে এবং স্বাভাবিক সরবরাহ ব্যাহত করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এরই মধ্যে পেঁয়াজের সরবরাহ ও মূল্য স্বাভাবিক রাখতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। পেঁয়াজ আমদানির ক্ষেত্রে এলসি মার্জিন এবং সুদের হার কমানোর পদক্ষেপ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। স্থল ও নৌবন্দরগুলোতে আমদানীকৃত পেঁয়াজ দ্রুত ও অগ্রাধিকার ভিত্তিতে খালাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। দেশের বিভিন্ন বাজারে পেঁয়াজ দ্রুত ও অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পৌঁছাতে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বাজার পরিস্থিতি মনিটরিংয়ের জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উচ্চ পর্যায়ের ১০ কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তারা দেশে বেশি পেঁয়াজ সরবরাহ করা জেলা কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, যশোর, দিনাজপুর, পাবনা, সাতক্ষীরা, সিরাজগঞ্জ ও শরীয়তপুরের বাজারগুলোতে তদারক শুরু করেছেন। এ ছাড়া প্রতিটি জেলা প্রশাসন থেকেও কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এলসি'র মাধ্যমে মিয়ানমার, মিসর ও তুরস্ক থেকে আমদানীকৃত পেঁয়াজ বন্দরে খালাস করা শুরু হয়েছে। পেঁয়াজের সরবরাহ স্বাভাবিক অবস্থায় আছে।দেশে পেঁয়াজের মূল্য ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) ঢাকা শহরের ৩৫টি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ৪৫ টাকা কেজিতে পেঁয়াজ বিক্রি করছে। সংস্থাটির বাজারদরের তথ্য অনুযায়ী, গত এক মাসের ব্যবধানে সব ধরনের পেঁয়াজের মূল্য ৯৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী দেশি পেঁয়াজ ১১০ ও আমদানি করা পেঁয়াজ ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা দু'দিন আগেও যথাক্রমে ৮০ ও ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছিল।বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, দেশে বছরে মোট পেঁয়াজের চাহিদা প্রায় ২৪ লাখ টন। এর মধ্যে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে দেশে পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছে ২৩ লাখ ৩০ হাজার টন। এর ৩০ শতাংশ পেঁয়াজ স্বাভাবিকভাবেই নষ্ট হয়। এ ছাড়া বছরে ৮ থেকে ১০ লাখ টন আমদানি হয়। এ হিসাবে দেশে পেঁয়াজের কোনো সংকট নেই। নতুন পেঁয়াজ ওঠা পর্যন্ত ঘাটতি নেই বলে মনে করে মন্ত্রণালয়।
পেঁয়াজের দাম, পেঁয়াজের বাজার , সিন্ডিকেট, পেঁয়াজ
১৭ প্রকল্প এখন গলার কাঁটা
প্রকাশ: ০১ অক্টোবর ২০১৯ | ১৪:৫১ | আপডেট: ০১ অক্টোবর ২০১৯ | ১৪:৫৭
রাজধানীর আগারগাঁও এলাকায় নির্মাণ করা হচ্ছে জাতীয় রাজস্ব ভবন। নির্মাণাধীন ওই ভবনের ভেতরে রড, সিমেন্ট, এসি, টাইলস, বাথরুম ফিটিংসসহ পড়ে আছে নানা ধরনের সামগ্রী। গতকাল সকালে ওই এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, বিশাল ভবনে সুনসান নীরবতা। গোটা এলাকায় শ্রমিক নেই একজনও। বন্ধ রয়েছে নির্মাণকাজ। ভবনের নিরাপত্তা রক্ষী মো. কাঞ্চন জানান, ৭-৮ দিন ধরে রাজস্ব ভবনের নির্মাণকাজ পুরোপুরি বন্ধ। অনিশ্চয়তার কারণে ঠিকাদার ও নির্মাণ শ্রমিকরা আসছেন না। সরেজমিন ঘুরে জানা যায়, শুধু জাতীয় রাজস্ব ভবন নয়, জি কে শামীমের মালিকানাধীন জি কে বিল্ডার্সের  অন্তত ১৭টি প্রজেক্টের সব কাজ আটকে গেছে। টাকার অঙ্কে তা প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকার বেশি। এর মধ্যে অধিকাংশ কাজই সরকারি নানা স্থাপনার।এ ব্যাপারে জানতে চাইলে গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী সাহাদাত হোসেন সমকালকে বলেন, 'শামীমের অনুপস্থিতিতে অন্য কেউ তার ঠিকাদারি কাজ এগিয়ে নিতে পারে কি-না সেটা আমরা দেখছি। সেটা না পারলে নিয়ম অনুযায়ী শোকজ করা হবে। এরপর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে পরামর্শ মোতাবেক পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করব।'সাহাদাত হোসেন আরও বলেন, ব্যাংক হিসাব নম্বর খুলে দিতে শামীমের প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। ব্যাংক হিসাব তো আমরা বন্ধ করিনি।ক্যাসিনো ও দুর্নীতিবিরোধী অভিযান শুরুর পর গত ২০ সেপ্টেম্বর রাজধানীর নিকেতনের অফিস থেকে গ্রেফতার হন জি কে শামীম। এরপর শামীম ও তার স্ত্রীর সব ব্যাংক হিসাব নম্বর জব্দ করা হয়। গ্রেফতারের পর তাকে একাধিক দফায় রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ-র‌্যাব। এতে বেরিয়ে আসে মোটা অঙ্কের কমিশন দিয়ে ঠিকাদারি কাজ বাগিয়ে নিয়েছেন তিনি। গণপূর্তের দুই প্রকৌশলীকেই কমিশন বাবদ দিয়েছেন দেড় হাজার কোটি টাকা। শামীম ধরা পড়ার পর তার প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে নির্মিত প্রজেক্টের ভবিষ্যৎ নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এসব প্রজেক্টের কাজ সম্পন্ন হওয়া নিয়ে তৈরি হয়েছে নানা শঙ্কা। এমন বাস্তবতায় শামীমকে এককভাবে দেওয়া এসব সরকারি কাজ 'গলার কাঁটা' হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্মিতব্য জাতীয় রাজস্ব ভবনের নিরাপত্তা রক্ষী মো. কাঞ্চন জানান, প্রতিদিন ইট-পাথরের টুংটাং শব্দে এলাকা সরগরম ছিল। মালিক নেই, এখন তাই কাজও বন্ধ।জি কে বিল্ডার্সের সাইট ম্যানেজার দেলোয়ার হোসেন সমকালকে বলেন, 'দিনে ৩০০-৪০০ জন শ্রমিক জাতীয় রাজস্ব ভবন নির্মাণকাজের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। দিনে মজুরি বাবদ অন্তত ১৫ লাখ টাকা দেওয়া লাগত। এখন কোন জায়গা থেকে টাকা আসবে। শ্রমিকদের টাকা দিতে না পারলে তারা কেন কাজে আসবে? এমন বাস্তবতায় সব কিছু বন্ধ হয়ে আছে।'জি কে বিল্ডার্সের সাইট ইঞ্জিনিয়ার নজরুল ইসলাম বলেন, 'ডিসেম্বরের মধ্যে রাজস্ব ভবন কর্তৃপক্ষকে বুঝিয়ে দেওয়ার কথা ছিল। সেভাবে সব কিছু এগিয়ে চলছিল। এখন সেই সময়সীমার মধ্যে কাজ শেষ হওয়ার ব্যাপারে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।'খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নির্মিতব্য জাতীয় রাজস্ব ভবনের পাশে একাধিক চায়ের দোকানে হাজার হাজার টাকা বাকি পড়ে আছে। বাদল নামে এক চা দোকানি শ্রমিকদের কাছে ১ লাখ টাকা পাবেন। কাজ বন্ধ থাকায় তার পাওনা টাকা উদ্ধারে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়। এছাড়া শ্রমিকরা জি কে বিল্ডার্সের কাছে হাজার হাজার টাকা পাবেন। শামীম গ্রেফতারের পর চার দিন শত শত শ্রমিক কাজ চালিয়ে গেছেন। তবে ওই চার দিনের মজুরি তারা পাননি। পরে আর কাজে যোগ দেননি শ্রমিকরা।দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, জি কে শামীম তার ঠিকাদারি কাজের আর্থিক বিষয়গুলো একাই দেখভাল করতেন। বেশ কিছু চেক তার সহকর্মীদের তিনি দেন। তবে ব্যাংক হিসাব জব্দ থাকায় এসব চেক দিয়ে টাকা তোলা তাদের পক্ষে সম্ভব হয়নি। জি কে শামীমের স্ত্রী একটি সরকারি কলেজের শিক্ষক। তাই আপাতত সরকারি কর্মচারী হয়ে শামীমের ব্যবসার দায়িত্ব নেওয়া তার পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না।সংশ্নিষ্টরা জানান, উত্তরার আশকোনায় প্রায় ৪৫০ কোটি টাকায় র‌্যাব সদর দপ্তর, ১৩ কোটি টাকায় পোড়াবাড়ীতে র‌্যাব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, ৫০০ কোটি টাকায় আগারগাঁওয়ে রাজস্ব ভবন, ১৫০ কোটি টাকায় আগারগাঁওয়ে পঙ্গু হাসপাতালের নতুন ভবন, ৫০ কোটি টাকায় এনজিও ভবন, ১৫০ কোটি টাকায় নিউরোসায়েন্স হাসপাতাল, ১২ কোটি টাকায় পাবলিক সার্ভিস কমিশন, ৩০ কোটি টাকায় বিজ্ঞান জাদুঘর, ১৫০ কোটি টাকায় সচিবালয়ের সম্প্রসারিত ভবন, ১০ কোটি টাকায় বাসাবো বৌদ্ধ মন্দির, ১৫০ কোটি টাকায় হিলট্র্যাক্টস ভবন ও ১৫০ কোটি টাকায় মহাখালী শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতাল প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে শামীমের প্রতিষ্ঠান। এছাড়াও ঢাকা জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়, ল্যাবরেটরি মেডিসিন ভবন, শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল, কেবিনেট ভবন নির্মাণসহ বেশ কিছু প্রকল্প চলমান রয়েছে।দীর্ঘদিন ধরে গণপূর্তের অসাধু কর্মকর্তাসহ একটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেটকে ম্যানেজ করে 'ঠিকাদার মোগলে' পরিণত হন জি কে শামীম। তার ভয়ে অনেক ঠিকাদার দরপত্র কিনতে সাহস পেতেন না। আবার গণপূর্তের কর্মকর্তারা মোটা কমিশনে শামীমকে কাজ দিতে নানা জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছেন।আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জিজ্ঞাসাবাদে এরই মধ্যে অনেক তথ্য দিয়েছেন শামীম। ঢাকার বাসাবো ও নিকেতনে তার অন্তত ৫টি বাড়ি রয়েছে। রাজধানীতে একাধিক আলিশান ফ্ল্যাট আছে। গ্রামের বাড়ি সোনারগাঁয় বাড়ি রয়েছে তার। এছাড়া ক্ষমতাসীন দলের শীর্ষ এক নেতাকে 'সন্তুষ্ট' রাখতে নিয়মিত মোটা অঙ্কের কমিশন দিতে হতো তাকে।
জি কে শামীম, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান, ঠিকাদার, রাজধানী
প্রযুক্তিপণ্যের আড়ালে কী আমদানি হচ্ছে!
প্রকাশ: ০১ অক্টোবর ২০১৯ | ১৪:৫৩ | আপডেট: ০১ অক্টোবর ২০১৯ | ১৫:০৬
স্মার্টফোন তৈরির জন্য নারায়ণগঞ্জে কারখানা স্থাপনের অনুমোদন নেওয়া হয়। একই সঙ্গে নেওয়া হয় স্মার্টফোনের কাঁচামাল আমদানির অনুমতি ও অনাপত্তিপত্র। কিন্তু সেই কারখানার ভেতরে পাওয়া গেল ক্যাসিনো খেলার সরঞ্জাম। ক্যাসিনোর অত্যাধুনিক টেবিল, যা 'মাহাজং' নামে পরিচিত। নারায়ণগঞ্জের ভুলতায় বেস্ট টাইকুন (বিডি) নামে এই কারখানায় শুল্ক্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তরের একটি দল অভিযান চালায় গত ২৯ সেপ্টেম্বর। অভিযানে পাওয়া যায় ক্যাসিনো দুনিয়ায় জনপ্রিয় এই মাহাজং।চীন ও হংকংয়ের ক্যাসিনোগুলোতে জনপ্রিয় এই মাহাজং আমদানি করা হয়েছে মূলত মোবাইল ফোন কারখানার যন্ত্রপাতি বা কাঁচামাল হিসেবেই। যদিও পণ্য খালাসের সময় কাস্টমসের কাছে দেওয়া ঘোষণায় এ পণ্যের নাম 'মাহাজং'ই উল্লেখ করা হয়েছে। তবে এটি ছিল মোবাইল ফোন সংযোজন কারখানার যন্ত্রপাতির তালিকায়। যদিও মাহাজং কোনোভাবেই মোবাইল হ্যান্ডসেট উৎপাদনে ব্যবহার হয় না। এই মাহাজং ঘিরেই রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, প্রযুক্তিপণ্যের আড়ালে আর কী কী আসছে দেশে। স্মার্টফোন কারখানার জন্য যন্ত্রপাতি আমদানির নামে এ ধরনের অবৈধ পণ্য আনা হলে প্রযুক্তিপণ্যে 'মেইড ইন বাংলাদেশ'-এর যে জয়যাত্রা, তা-ও প্রশ্নের মুখে পড়বে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।বাংলাদেশ মোবাইল ফোন ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমপিআই) মুখপাত্র মনিরুল বাশার সমকালকে জানান, এই সংগঠনের সদস্য কোনো ধরনের অবৈধ কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এরই মধ্যে এ জন্য কারণ দর্শাতে সংগঠনের পক্ষ থেকে ভিভো মোবাইল কোম্পানি (বিডি) লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া  যেসব ব্যবসায়ী আমদানির ক্ষেত্রে আইন অমান্য করছেন, তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে বিটিআরসির চেয়ারম্যান বরাবরও একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে।বিটিআরসির চেয়ারম্যান জহুরুল হক সমকালকে জানিয়েছেন, কেউ আইন অমান্য বা বিটিআরসির নীতমালার শর্ত ভঙ্গ করলে তার বিরুদ্ধে অবশ্যই যথাযথ আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে। কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।যে অভিযানে ধরা পড়ল 'মাহাজং': নারায়ণগঞ্জের ভুলতায় বেস্ট টাইকুন (বিডি) নামে এই কারখানায় শুল্ক্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তরের অভিযানে পাওয়া যায় ক্যাসিনো সরঞ্জাম 'মাহাজং' টেবিল। অনুসন্ধানে দেখা যায়, এই কারখানায় উৎপাদন হওয়ার কথা চীনের 'ভিভো' ব্র্যান্ডের স্মার্টফোন। স্মার্টফোন দুনিয়ার পরিসংখ্যান দাতা প্রতিষ্ঠান কাউন্টার পয়েন্টের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী এ মুহূর্তে চীনের ভিভো বিশ্বজুড়ে ৮ শতাংশ বাজার দখলে রেখেছে। যদিও এই ব্র্যান্ড বাংলাদেশে খুব জনপ্রিয় নয় এখনও।ভুলতায় ওই অভিযানে কাউকে আটক করা হয়নি। এর কারণ হিসেবে শুল্ক্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল মামুন সমকালকে বলেন, যেহেতু ওই কারখানায় 'মাহাজং' ব্যবহারের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি, সে কারণে নিয়ম অনুযায়ী কাউকে গ্রেফতার বা আটক করা হয়নি। এই পণ্য আমদানির বিষয়টি আরও অধিকতর তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। আর অভিযান পরিচালনার দিন অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক শামীমা আখতার সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে তারা এ অভিযান পরিচালনা করেছেন। অভিযানের সময় তারা 'মাহাজং' নামে ক্যাসিনো সরঞ্জাম পেয়েছেন। এটি মোবাইল হ্যান্ডসেট উৎপাদনের কাঁচামাল নয়। কর ফাঁকি দিতেই মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে এ পণ্য আমদানি করা হয়েছে।চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস সূত্র জানায়, চলতি বছরের ২৬ মে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে এই 'মাহাজং' খালাস করা হয়। এ জন্য চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসে দাখিল করা বিল অব এন্ট্রিতে পণ্যটির নাম 'মাহাজং' উল্লেখ ছিল। এটি ছিল স্মার্টফোন তৈরির জন্য কাঁচামাল বা যন্ত্রপাতির তালিকায়; যেহেতু আমদানি-নিষিদ্ধ পণ্যের তালিকায় 'মাহাজং' বলে কিছু নেই। একই সঙ্গে এটি মোবাইল কারখানার যন্ত্রপাতির তালিকায় ছিল, সে কারণেই এটি খালাস করা হয়। এর মূল্য দেখানো হয় প্রায় ২৬ হাজার মার্কিন ডলার। মমতা ট্রেডিং কোম্পানি নামে একটি সিঅ্যান্ডএফ এজেন্সি পণ্যটি খালাস করে।ভিভো ও বেস্ট টাইকুন :অনুসন্ধানে দেখা যায়, ভিভো স্মার্টফোন বাংলাদেশে রফতানি করে 'কালার টাইকুন গ্লোবাল' নামে একটি চীনা কোম্পানি। এই কোম্পানির পণ্য ক্রয় করে ভিভো মোবাইল কোম্পানি (বিডি) নামে একটি প্রতিষ্ঠান। এই ভিভো মোবাইল কোম্পানির (বিডি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক চীনা নাগরিক বাওহুয়া দু। তবে ভিভো স্মার্টফোনের কারখানা স্থাপনের জন্য যে কোম্পানি গঠন করা হয়, তার নাম দেওয়া হয় 'বেস্ট টাইকুন (বিডি)'। সংশ্নিষ্ট সূত্র জানায়, সাধারণত আন্তর্জাতিক রীতি অনুযায়ী যে কোম্পানি হ্যান্ডসেট উৎপাদন করে, তারাই দায়িত্ব নিয়ে বিভিন্ন দেশে রফতানি করে। কিন্তু চীনা একাধিক কোম্পানির ক্ষেত্রে দেখা যায়, যে কোম্পানি মোবাইল ফোন উৎপাদন করে, তারা রফতানি না করে দায়িত্ব এড়িয়ে তৃতীয় আরেকটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে পণ্য রফতানি করে। এসব কোম্পানি পণ্য রফতানির ক্ষেত্রে নানা ধরনের ছলচাতুরীর আশ্রয় নেয়। যেমন বাংলাদেশে শুধু ভিভো নয়, চীনা অপো ব্র্যান্ডের স্মার্টফোনও আমদানি করা হয় 'সিনসিয়র ওয়ার্থ' নামে একটি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে। এর আগে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে মোবাইল ফোন আমদানিকারকদের সংগঠন বিএমপিআই থেকে বিটিআরসিতে জমা পড়া অভিযোগে প্রমাণসহ ভিভো ও অপোর রফতানিকারকের বিরুদ্ধে অভিনব কৌশলে বিপুল অঙ্কের কর ফাঁকির তথ্য দেওয়া হয়েছিল।অনুসন্ধানে আরও দেখা যায়, ভিভো টেকনোলজি ও অপো ইলেকট্রনিকস করপোরেশন দুটি পৃথক প্রতিষ্ঠান হলেও এ দুটি প্রতিষ্ঠানই চীনের বিবিকে ইলেকট্রনিকসের অধীন প্রতিষ্ঠান। বিবিকে ভিভো ও অপো ছাড়াও ওয়ান প্লাস, রিয়েল মি নামে ব্র্যান্ডের স্মার্টফোনও বাজারজাত করে। অর্থাৎ, চীনের একটি কোম্পানির ছাতার নিচেই গড়ে উঠেছে একাধিক ব্র্যান্ড। বিবিকের সদর দপ্তর চীনের ডংগুয়ানে অবস্থিত, আর মূল কারখানা গুয়াংজুতে।সর্বশেষ কারখানা থেকে ক্যাসিনো সরঞ্জাম উদ্ধারের ঘটনা সম্পর্কে জানতে ভিভো বাংলাদেশের কর্মকর্তা তানজীব আহমেদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি প্রশ্নগুলো ই-মেইলে পাঠাতে বলেন। প্রশ্ন ই-মেইলে পাঠিয়ে একদিন অপেক্ষা করার পর আবারও যোগাযোগ করলে তিনি এ ব্যাপারে জানতে ভিভো বাংলাদেশের গণসংযোগের দায়িত্বে থাকা একটি সংস্থার সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন। ওই সংস্থার একজন কর্মকর্তা পরে নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, বেস্ট টাইকুন (বিডি) নামে এই কোম্পানির সঙ্গে কারখানা স্থাপনের জন্য ভিভো বাংলাদেশ যুক্ত হলেও এখন পর্যন্ত কারখানায় উৎপাদন শুরু হয়নি। এর বেশি আর কোনো তথ্য তার কাছে নেই বলে জানান।
স্মার্টফোন, প্রযুক্তিপণ্য, ক্যাসিনো
মাগুরায় ডেঙ্গু আক্রান্ত যুবকের মৃত্যু
প্রকাশ: ০১ অক্টোবর ২০১৯ | ২২:৪৮ | আপডেট: ০১ অক্টোবর ২০১৯ | ২৩:১৫
মাগুরায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে নাজমুল হোসেন (৩০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে তার মৃত্যু হয়। প্রতিবেশী সোহাগ হোসেন জানান, নাজমুল গত শুক্রবার জ্বরে আক্রান্ত হন। ওইদিন পরীক্ষা করে তার ডেঙ্গু ধরা পড়লে তাকে মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মঙ্গলবার সকালে তার অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে অবস্থার আরও অবনতি হলে সন্ধ্যায় পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে রাত ৯টার দিকে তার মৃত্যু হয়। মাগুরা সদরের বরুণাতৈল গ্রামের আব্দুর রশিদ মোল্লার ছেলে নাজমুল শহরের পারনান্দুয়ালী মসজিদ মার্কেটে এলাকায় ভাঙ্গারীর ব্যবসা করতেন।নাজমুল মোল্লাসহ এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মাগুরায় মোট চারজনের মৃত্যু হয়েছে। অন্য তিনজন হচ্ছেন- সদরের পুটিয়া গ্রামের জয়া সাহা, ধরহরা চাঁদপুর গ্রামের কলেজছাত্র সুমন মোল্লা ও সিকিরিটি কর্মী জয়নাল শরীফ।এ পর্যন্ত মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রন্ত হয়ে মোট ৪১৩ জন ভর্তি হয়েছেন। বর্তমানে পাঁচজন ভর্তি আছেন। যারা সবাই স্থানীয়ভাবে আক্রান্ত বলে জানিয়েছেন হাসাপাতালে পরিচালক ডা. স্বপন কুমার কুন্ডু।
ডেঙ্গু, মাগুরা, মৃত্যু
রূপগঞ্জে একটি বাড়ির ট্রাংকে পাওয়া গেল সোয়া কোটি টাকা
প্রকাশ: ০১ অক্টোবর ২০১৯ | ২৩:০৫ | আপডেট: ০১ অক্টোবর ২০১৯ | ২৩:২৯
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে নগদ এক কোটি ২৫ লাখ টাকা ও দুই হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার ভোরে উপজেলার তারাব পৌরসভার রসুলপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। আটকেরা হলেন- রসুলপুর এলাকার ইউনুছ মৃধার ছেলে জামাল হোসেন, মোস্তফা কামাল ও প্রতিবেশী মানিক মিয়া। রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মধ্যরাতে রসুলপুর এলাকার ওই বাড়িতে অভিযান শুরু করে পুলিশ। অভিযানকালে দুই হাজার পিস ইয়াবা ও ট্রাঙ্কের মধ্যে রাখা এক কোটি ২৫ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে বাড়ির মালিক জামাল হোসেন, মোস্তফা কামাল ও প্রতিবেশী মানিক মিয়াকে আটক করা হয়। ওসি আরও জানান, জামাল হোসেন ও মোস্তফা কামালের বাড়ি বরিশাল জেলার উজিরপুর থানার ধাসুরা এলাকায়। আট বছর আগে তারা রসুলপুর এলাকায় জমি কিনে বাড়ি নির্মাণ করেন। তারা অবৈধ কয়েল কারখানা ও গরুর খামারের আড়ালে ইয়াবার ব্যবসা করে আসছিলেন। এ ব্যাপারে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ বলেন, আটক জামাল টাকার বৈধ উৎস এবং এত টাকা কোথা থেকে এনেছেন সে তথ্য দিতে পারেননি। তিনি বলেছেন, কয়েল ফ্যাক্টরির ব্যবসা করেন কিন্তু সেটিরও কোনো বৈধ কাগজপত্র নেই। তাকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে আর তার বিরুদ্ধে আমরা মানি লন্ডারিংয়ের মামলাও করতে পারবো। এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। 
আটক, রূপগঞ্জ
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের বাণিজ্যিক কার্যক্রম উদ্বোধন
প্রকাশ: ০১ অক্টোবর ২০১৯ | ২৩:৩০ | আপডেট: ০২ অক্টোবর ২০১৯ | ০৫:১৩
উৎক্ষেপণের দেড় বছর পর আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হচ্ছে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটে-১ এর বাণিজ্যিক কার্যক্রম। আজ বুধবার থেকে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের মাধ্যমে সম্প্রচার শুরু করবে দেশের সব টেলিভিশন চ্যানেল।রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁ হোটেলে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর মাধ্যমে বেসরকারি টিভি চ্যানেলসমূহের বাণিজ্যিক কার্যক্রম উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড জানিয়েছে, স্যাটেলাইটটি ব্যবহারের ফলে বছরে আয় হবে প্রায় ১০০ কোটি টাকা।গত ২০১৮ সালের ১১ মে মহাকাশে উৎক্ষেপণের প্রায় ছয় মাস পর বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর দায়িত্ব বুঝে পায় বাংলাদেশে স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড-বিসিএসসিএল।ঢাকায় সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ম্যাচ সরাসরি সম্প্রচারের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের পরীক্ষামূলক কার্যক্রম শুরু হয়। এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার থেকে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের মাধ্যমে সম্প্রচার করতে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি স্থাপন ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার কাজ সম্পন্ন করেছে দেশি চ্যানেলগুলো।দেশীয় চ্যানেলগুলোর জন্য প্রতি মাসে স্যাটেলাইটের ভাড়া ২৮১৭ ডলার নির্ধারণ করেছে বিসিএসসিএল। যদিও আয় বাড়াতে ফিলিপাইন, নেপালসহ কাভারেজ পায় এমন দেশগুলোকে স্যাটেলাইট ব্যবহারে আগ্রহী করার উদ্যোগ নেয়ার পরামর্শ বিশ্লেষকদের।এছাড়া মধ্যপ্রাচ্যসহ কাভারেজ কম পায় এমন দেশগুলোতে বিদেশি স্যাটেলাইটের মাধ্যমে দেশীয় চ্যানেলের অনুষ্ঠান সম্প্রচারের ব্যবস্থা করবে বিসিএসসিএল।
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট, বাণিজ্যিক কার্যক্রম, টেলিভিশন চ্যানেল
রাজশাহীর থানা থেকে বেরিয়ে শরীরে আগুন দেওয়া কলেজছাত্রী মারা গেলেন
প্রকাশ: ০২ অক্টোবর ২০১৯ | ০০:০৬
রাজশাহীর শাহ মখদুম থানার কাছে রাস্তায় দাঁড়িয়ে নিজের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেওয়া কলেজছাত্রী লিজা রহমান (১৭) মারা গেছেন।বুধবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।ঢামেক হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. পার্থ শঙ্কর পাল বলেন, লিজার শরীরের ৬৪ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।গত শনিবার স্বামীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করতে গিয়ে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেন লিজা রহমান। পরে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। লিজা রহমান রাজশাহী মহিলা কলেজের দ্বিতীয় বর্ষে পড়েন। তার বাড়ি গাইবান্দার গোবিন্দগঞ্জে এবং তার স্বামী সাখাওয়াত হোসেনের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে।পুলিশ সূত্রে জানা যায়, লিজা ও শাখাওয়াত নিজেদের পছন্দে বিয়ে করেছিলেন। ঘটনার দিন সকালে তাদের মধ্যে ঝগড়া হলে শাখাওয়াত লিজাকে ছেড়ে যাওয়ার হুমকি দেন। এতে লিজা আত্মহত্যার কথা বলেন। পরে লিজার শ্বশুর ও শ্বাশুড়ি এসে সাখাওয়াতকে নিয়ে যান। এ ঘটনায় নগরীর শাহমখদুম থানায় জিডি করতে যান সাখাওয়াত। এসময় লিজাও থানায় যান। পরে সেখান থেকে বের হয়ে তিনি শরীরে আগুন দেন।
রাজশাহী, বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট
ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষার সুযোগ
প্রকাশ: ০২ অক্টোবর ২০১৯ | ০০:২৪
কানাডার ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশ থেকে প্রায় ৪০ জন শিক্ষার্থী পিএইচডি বা পোস্ট ডক্টরেট করতে পারবেন। বাংলাদেশ সরকার এবং ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ আর্থিক সহায়তায় শিক্ষা গ্রহণ শেষে তারা ফিরে এসে বঙ্গমাতা ন্যাশনাল সেলুলার অ্যান্ড মলিকুলার রিসার্স সেন্টারে (বিএনসিআরসি) গবেষণা কাজে নিয়োজিত হবেন। সোমবার কানাডায় ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে বঙ্গমাতা ন্যাশনাল সেলুলার অ্যান্ড মলিকুলার রিসার্স সেন্টারের মধ্যে এক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট এবং ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর সুজানে ফোরটিয়ার এবং বিএনসিআরসি-এর প্রকল্প পরিচালক ডা. মাহমুদ- উজ- জাহান সমঝোতা স্মারকটি স্বাক্ষর করেন। ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যাথলজি বিভাগের ভিজিটিং প্রফেসর ড. আবু সাদাত মোহাম্মাদ নোমান সমঝোতা স্বাক্ষরে বিশেষ সহযোগিতা করেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশের সংসদ সদস্য এবংইন্টার পাল্যামেন্টারি ইউনিয়নের সভাপতি, ডা. হাবিব ই মিল্লাত বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তার স্বীকৃতির কথা উল্লেখ করেন। বিএনসিআরসির প্রকল্প পরিচালক ডা. মাহমুদ- উজ- জাহান তার বক্তব্যে বাংলাদেশ সরকারের বঙ্গমাতা ন্যাশনাল সেলুলার অ্যান্ড মলিকুলার রিসার্স সেন্টার প্রকল্পের অনুমোদন এবং প্রকল্পের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে এ ধরনের অত্যাধুনিক প্রকল্প পরিচালনা ও তা বাস্তবায়নে উচ্চ শিক্ষিত দক্ষ জনবলের প্রয়োজনীয়তার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। দক্ষ লোকবল তৈরিতে সহযোগিতার জন্য ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয়কে ধন্যবাদ জানান।বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কানাডায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাই কমিশনার মিজানুর রহমান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে যুদ্ধ বিধ্বস্ত বাংলাদেশের পুনঃনির্মাণে বিশেষ করে স্বাস্থ্যখাত উন্নয়নের উদ্যোগের কথা বিবৃত করেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের সময়কালে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন বিশেষত স্বাস্থ্যখাতে উন্নয়নের কথা বর্ণনা করেন। ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট ও ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর সুজানে ফোরটিয়ার তার বক্তব্যে তার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার উচ্চমান এবং এর ঐতিহ্য বর্ণনা করে প্রতিষ্ঠানের আন্তর্জাতিক অঙ্গনে জ্ঞান ও গবেষণার ক্ষেত্র ও মান বৃদ্ধির অঙ্গীকার করেন। তার বিশ্ববিদ্যালয়ের এই প্রচেষ্টারই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের সঙ্গে ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয়ের সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের প্রতিফলন হিসেবে তিনি তুলে ধরেন এবং এই উদ্যোগের সফলতা কামনা করেন। 
ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয়, শিক্ষার সুযোগ
ঈশ্বরদীতে ট্রাকচাপায় স্কুলছাত্র নিহত
প্রকাশ: ০২ অক্টোবর ২০১৯ | ০০:৩৪
ঈশ্বরদীতে ট্রাকচাপায় সম্পদ হাসান (১৬) নামে এক স্কুলছাত্র নিহত হয়েছে। বুধবার সকাল ৯টার দিকে উপজেলার সাকড়েগাড়ি মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত সম্পদ সলিমপুর ইউনিয়নের জগন্নাথপুর গ্রামের আরিফুল ইসলামের ছেলে। সে চর-মিরকামারী ভাষা শহীদ বিদ্যানিকেতন স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র।প্রত্যক্ষদর্শী দোকানি উজ্জল জানান, ট্রাকটি ড্রাইভারের পরিবর্তে হেলপার চালাচ্ছিল। ওই ছাত্র সাইকেল চালিয়ে স্কুলে আসার সময় ট্রাকটি তাকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। ট্রাকটি দ্রুত এলাকা ত্যাগ করে। এলাকাবাসী সাকরেগাড়ি মোড়ের রাস্তায় এসে ড্রাইভারের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ করেন। খবর পেয়ে ঈশ্বরদী থানার পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাবনার মর্গে পাঠায়। ঈশ্বরদী থানার ওসি বাহাউদ্দিন ফারুকী জানান, ট্রাকের চালক ও হেলপারের পরিচয় পাওয়া গেছে। তাদের গ্রেফতারে পুলিশ কাজ করছে।
ঈশ্বরদী, রাকচাপা, সড়ক দুর্ঘটনা
বাচ্চুর স্মরণে জন্মদিনে আয়োজন করছেন না জেমস
প্রকাশ: ০২ অক্টোবর ২০১৯ | ০০:৪৩
বাংলাদেশের খ্যাতিমান কণ্ঠশিল্পী জেমসের জন্মদিন আজ।  কিন্তু দিনটিতে কোন আয়োজন রাখেননি এ তারকা। যদিও প্রতিবছর এই দিনটি তার শুরু হয় ভক্তদের শুভেচ্ছা, ভালোবাসা আর উপহার পাওয়ার মধ্য দিয়ে। অবশ্য দিন শুরুর আগেই দেশের আনাচে-কানাচে পৌঁছে দেওয়া হয় তার জন্মদিনের খবর।নগর বাউলের ভক্ত-অনুরাগীরা এর আগে কখনও বিলবোর্ড বানিয়ে, ট্রাকভর্তি কেক নিয়ে রাজধানী চষে বেড়িয়েছেন। ব্যানার, পোস্টার আর শত শত প্রতিকৃতি বানিয়েও দেশজুড়ে ছড়িয়ে দিয়েছেন ব্যান্ড সঙ্গীতের গুরুখ্যাত এই শিল্পীর জন্মদিনের খবর। দেশের নানা প্রান্ত থেকে হাজার হাজার ভক্ত এসে জেমসের কলের গান রেকর্ডিং স্টুডিওতে উদযাপন করেছেন শিল্পীর জন্মদিন। ভক্তদের এসব আয়োজন কখনও পাগলামি আবার কখনও বাড়াবাড়ি বলেও তাদের নিরাশ করেননি জেমস। কিন্তু এবার ভক্তরা প্রিয় শিল্পীর জন্মদিনে তাকে পাশে পাচ্ছে না। জন্মদিন নিয়ে নিজ থেকে কোনো আয়োজনও করছেন না জেমস। এ খবর নিশ্চিত করেছেন নিজেই। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'মন ভালো নেই, তাই ঘটা করে নিজের জন্মদিন উদযাপন করতে চাই না। গত বছরের এই মাসে শিল্পীজীবনের দীর্ঘদিনের সফরসঙ্গী, ভাই ও বন্ধু আইয়ুব বাচ্চুকে হারিয়েছি। কয়েকদিন পর তার প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী। এমন একটা সময়ে দাঁড়িয়ে নিজের জন্মদিন উদযাপন করার কোনো ইচ্ছা নেই।'জেমস ও নগর বাউল ব্যান্ডের ব্যবস্থাপক রুবাইয়াৎ ঠাকুর রবিন জানান, জন্মদিন উপলক্ষে আজ কোনো আয়োজন করছেন না জেমস। শুধু তাই নয়, তিনি ভক্তদেরও জানিয়ে দিয়েছেন, আজ তাদের কারও সঙ্গে দেখা করা, কেক কাটা বা অন্য কোনো আয়োজনে অংশ নেবেন না। আইয়ুব বাচ্চু স্মরণে আজকের দিনটি নীরবে-নিভৃতে কাটাতে চান। তিনি আরও জানান, ভক্তরা জেমসের সঙ্গে জন্মদিন উদযাপন করতে না পারলেও দেশের বিভিন্ন স্থানে তারা নানা ধরনের আয়োজন করবেন বলে জানিয়েছেন। প্রিয় শিল্পীকে শ্রদ্ধা জানাতেই তারা কেক কেটে ও অন্যান্য আয়োজন করে দিনটি স্মরণীয় করে রাখতে চান। এ ক্ষেত্রে জেমস কোনো বিধিনিষেধ আরোপ করেননি। কারণ এটি সম্পূর্ণ তাদের নিজস্ব বিষয় বলে জানিয়েছেন।    
জেমস, জন্মদিন, আইয়ূব বাচ্চু
ক্রেতা-দোকানির গল্প নিয়ে নাটক
প্রকাশ: ০২ অক্টোবর ২০১৯ | ০০:৫৪
হোসেন ভাইয়ের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের কারণে তার দোকান হয়ে উঠেছে এলাকার কিছু অন্যরকম মানুষের আড্ডাস্থল। এ মানুষেরা অন্যদের মতো ১০টা-৫টা অফিস করেন না, পিচ্চিকে কোলে নিয়ে হাঁটতে বের হন না, আবার রাতে লবণ ছাড়া আলুভর্তা খেয়ে স্ত্রীকে বকাঝকাও করেন না। হোসেন ভাইয়ের দোকান ও সেই দোকানে আড্ডা দিতে আসা অন্যরকম মানুষদের জীবনাচরণ ও অভিজ্ঞতাকে নিয়ে নির্মিত হয়েছে ধারাবাহিক নাটক 'হোসেন ভাইয়ের দোকানে আসা মানুষজন'। আশরাফুল চঞ্চলের রচনায় এটি পরিচালনা করেছেন শামস করিম।নাটকটি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ ধারাবাহিকের কাহিনী গড়ে উঠেছে মফস্বল শহরের পাড়ার মোড়ে গড়ে ওঠা একটি লন্ড্রির দোকানকে কেন্দ্র করে। গল্পটি অসাধারণ। এখানে আমাদের সমাজেরই চেনাজানা মানুষের ছায়া পাওয়া যাবে। আশা করছি, ধারাবাহিকটি অনেকেরই ভালো লাগবে। এতে অভিনয় করেছেন মোশাররফ করিম, নাদিয়া আহমেদ, আ খ ম হাসান, গোলাম ফরিদা ছন্দা, ফারুক আহমেদ, হোসনে আরা পুতুল, রোবেনা রেজা জুঁই, সানসি ফারুক, তারিক স্বপনসহ অনেকেই।এটি প্রচার হবে ৫ অক্টোবর থেকে  আর টিভিতে প্রতি শনি, রবি ও সোমবার রাত ১০টায়।
মোশাররফ করিম, নাটক, বিনোদন
এনআরসির আগে নাগরিকত্ব আইন: অমিত শাহ
প্রকাশ: ০২ অক্টোবর ২০১৯ | ০০:৫৫ | আপডেট: ০২ অক্টোবর ২০১৯ | ০৪:১২
ভারত সরকার জাতীয় নাগরিক পঞ্জি (এনআরসি) তৈরি করার আগে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল (সিএবি) আনছে বলে জানিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।তিনি বলেন, ভারতে যত হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, খ্রিস্টান এসেছেন, তাদের সবাইকে নাগরিকত্ব দিয়ে দেওয়া হবে। চিরকালের জন্য দিয়ে দেওয়া হবে। কিন্তু একজন অনুপ্রবেশকারীকেও ভারতে থাকতে দেওয়া হবে না। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।মঙ্গলবার পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতায় নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে জনসভায় তিনি এ কথা বলেন। এনআরসি প্রসঙ্গে অমিত শাহ বলেন, সব শরণার্থীকে আশ্বস্ত করছি, যারা এ দেশে চলে এসেছেন, তাদের কাউকে ভারত ছাড়তে বাধ্য করা হবে না।এনআরসি নিয়ে তৃণমূল যা বলছে, তা ‘সম্পূর্ণ মিথ্যা’ দাবি করে অমিত শাহ বলেন, এই মিথ্যাটা ছড়ানো হচ্ছে বাংলার মানুষকে উস্কে দেওয়ার জন্য।সিএবি সম্পর্কে অমিত শাহ বলেন, নাগরিকত্ব সংশোধন বিল যখন আনা হয়েছিল, তৃণমূল রাজ্যসভা চলতে দেয়নি। বিলটাকে পাশ হতে দেয়নি। তাই অন্য শরণার্থীদের তখন নাগরিকত্ব দেওয়া যায়নি। তবে এখন পরিস্থিতি বদলেছে। এখন আর আটকাতে পারবে না। এ দিন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি সতর্কবার্তা উচ্চারণ করে অমিত শাহ বলেন, বাংলাদেশ, পাকিস্তান বা আফগানিস্তান থেকে যারা ভারতে চলে আসতে বাধ্য হয়েছেন, তাদের ‘প্ররোচিত’ করার রাজনীতি থেকে দূরে থাকুন।মমতার উদ্দেশে শাহ বলেন, যারা নিজেদের ভূমিতে ফিরেছেন, সন্ত্রাসের শিকার হয়ে এসেছেন, তাদের নিয়ে মজা করবেন না, দীর্ঘশ্বাস লাগবে।তবে ‘অনুপ্রবেশকারী’ তত্ত্বে অটল অমিত শাহ বলেন, একটাও অনুপ্রবেশকারীকে ভারতের মাটিতে আমরা থাকতে দেব না। একজনকেও থাকতে দেব না। দেশের সুরক্ষার জন্যই অনুপ্রবেশকারীদের তাড়ানো দরকার।
অমিত শাহ
বাংলাদেশ কারো কাছে হাত পেতে চলবে না: প্রধানমন্ত্রী
প্রকাশ: ০২ অক্টোবর ২০১৯ | ০০:৫৯ | আপডেট: ০২ অক্টোবর ২০১৯ | ০৫:১৩
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ করো কাছে হাত পেতে চলবে না। আমাদের দেশ এখন স্বয়ংসম্পূর্ণ। আমরা এখন নিজের পায়ে দাঁড়াবো। আজকে আমরা যে বাজেট দেই, সেই বাজেটের সমস্ত অর্থ আমরা নিজস্ব অর্থায়নে যোগান দিতে পারি। বিদেশি কিছু ঋণ সহায়তা থাকে। তবে সেটা খুবই সামান্য।বুধবার সকালে রাজধানীর সোনারগাঁ হোটেলে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর মাধ্যমে বেসরকারি টিভি চ্যানেলগুলোর বাণিজ্যিক কার্যক্রম উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের সব টিভি চ্যানেল বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের মাধ্যমে বাণিজ্যিক কার্যকম শুরু করছে, তাই আজ আমি খুবই আনন্দিত। এতদিন আপনারা দেশের বাইরে টাকা পাঠাতেন। এখন থেকে পরনির্ভরশীলতা থাকবে না। আমরা নিজের পায়ে দাঁড়ানোর সুযোগ পেলাম।ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মোস্তফা জব্বারে সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব অশোক কুমার বিশ্বাস, অ্যাসোসিয়েশন অব টেলিভিশন ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট অঞ্জন চৌধুরী প্রমুখ।২০১৮ সালের ১১ মে মহাকাশে উৎক্ষেপণের প্রায় ছয় মাস পর বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর দায়িত্ব বুঝে পায় বাংলাদেশ কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড (বিসিএসসিএল)।ঢাকায় সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ম্যাচ সরাসরি সম্প্রচারের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের পরীক্ষামূলক কার্যক্রম শুরু হয়। এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার থেকে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের মাধ্যমে সম্প্রচার করতে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি স্থাপন ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার কাজ সম্পন্ন করে দেশি চ্যানেলগুলো।দেশীয় চ্যানেলগুলোর জন্য মাসে স্যাটেলাইট ভাড়া দুই হাজার ৮১৭ ডলার নির্ধারণ করেছে বিসিএসসিএল। যদিও আয় বাড়াতে ফিলিপাইন, নেপালসহ কাভারেজ পায় এমন দেশগুলোকে স্যাটেলাইট ব্যবহারে আগ্রহী করার উদ্যোগ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশ্লেষকরা।এছাড়া মধ্যপ্রাচ্যসহ কাভারেজ কম পায় এমন দেশগুলোতে বিদেশি স্যাটেলাইটের মাধ্যমে দেশী চ্যানেলের অনুষ্ঠান সম্প্রচারের ব্যবস্থা করবে বিসিএসসিএল।
প্রধানমন্ত্রী, শেখ হাসিনা, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১
আবার 'মারদানি' আবারও রানী
প্রকাশ: ০২ অক্টোবর ২০১৯ | ০১:১৭ | আপডেট: ০২ অক্টোবর ২০১৯ | ০৩:০১
পাঁচ বছর আগে যখন 'মারদানি' ছবিতে ইন্সপেক্টর শিবানী শিবাজি রায়ের ভূমিকায় পর্দায় অভিনয় করেন অভিনেত্রী রানী মুখার্জি, তখন বলিউড দর্শক মুগ্ধ হয়েছিলের এ চরিত্রের ক্ষুরধার ব্যক্তিত্ব ও সাহসিকতা দেখে।নারী পাচারের বিরুদ্ধে শিবানী রায়ের সংগ্রাম এবং রানী মুখার্জির অ্যাকশন-প্যাক্ট অভিনয়ের যুগলবন্দি প্রশংসিত হয়েছিল। সেই ছবির সিক্যুয়াল আসছে আগামী ডিসেম্বরে। আগের ছবিটি পরিচালনা করেছিলেন প্রদীপ সরকার, সিক্যুয়ালটি পরিচালনা করেছেন গোপী পুথরান।'মারদানি টু'-এর বেশিরভাগ শুটিং হয়েছে কোটাসহ রাজস্থানের বিভিন্ন অংশে। সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত টিজারে নতুন ছবির সামান্য ঝলক দেখলেও গল্প আঁচ করতে পারবেন না দর্শক। তবে এর মধ্যে টিজারটি উন্মাদনা ছড়িয়েছে। রানী বলেন, 'মারদানি টু'-এর প্রচারের প্রথম অংশটি এলো দুর্গাপূজার সময়ে। এটাই দারুণ লাগছে কারণ মা দুর্গাই নারীশক্তির আসল রূপ। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে 'মারদানি টু'-এর ঘোষণা হয় এবং শুটিং শুরু হয় এ বছরের মার্চ মাস থেকে। রাজস্থানের তপ্ত গরমে, ৪২ ডিগ্রি তাপমাত্রায় রানীর অ্যাকশন দৃশ্যের শুট করা হয়েছে। আগামী ১৩ ডিসেম্বর মুক্তি পাবে ছবিটি।
মারদানি ২, রানি মুখার্জি, বলিউড
গিনাব্রি জাদুতে সাত গোল খেল স্পার্সরা
প্রকাশ: ০২ অক্টোবর ২০১৯ | ০১:২৩
'নামটা লিখে রাখো'। চার গোল করে উদযাপনের ভঙ্গিতে সের্গে গিনাব্রি সেটাই বলতে চেয়েছেন। ম্যাচ শেষে মুখে বলেছেন, 'উত্তর লন্ডন এখন লাল।' টটেনহ্যামের জার্সির রঙ সাদা। কিন্তু লাল জার্সির বায়ার্ন সাত গোল দিয়ে টটেনহ্যামকে 'রক্তাক্ত' করে দিয়েছে। গিনাব্রির ম্যাচ শেষে তাই রসিকতা। জার্মানির ২৪ বছর বয়সী এই উইঙ্গার আর্সেনাল একাডেমিতে বেড়ে উঠেছেন। স্পার্সদের তাই শত্রু হিসেবেই চিনেছেন ছোট থেকে। বায়ার্নের জার্সিতে তার প্রতিফলন ঘটালেন তিনি।প্রথমার্ধে দু'দল প্রায় সমান তালে লড়েছেন। ঘরের মাঠে টটেনহ্যাম আক্রমণ করেছে বেশি। তবে ২-১ গোলে পিছিয়ে থেকে প্রথমার্ধ শেষ করে তারা। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে আবার বায়ার্ন মিউনিখ এগিয়ে যায়। গিনাব্রি ম্যাচের ৫৩ ও ৫৫ মিনিটে জাদু দেখান। তার গোলে ৪-১ ব্যবধানে এগিয়ে গিয়ে স্পার্সদের ম্যাচ থেকে ছিটকে দেয় জার্মান ক্লাবটি। কিন্তু ৬১ মিনিটে হ্যারি কেন গোল করে লড়াইয়ে ফেরার আভাস দেন। যদিও তারা আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। বরং অপদস্থ হয়েছে বায়ার্নের কাছে।জার্মানির দ্বিতীয় ফুটবলার হিসেবে ইউরোপ সেরার প্রতিযোগিতায় চার গোল করেন গিনাব্রি। ছবি: গোলম্যাচের ৮৩ মিনিটে গ্রিনাব্রি গোল করে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন। এরপর ৮৭ মিনিটে লেভানডভস্কি তার দ্বিতীয় গোল করেন। এক মিনিট পরেই আবার গিনাব্রি শো'। শেষের তিন মিনিটে বিধ্বস্ত হয়ে মাঠ ছাড়ে সর্বশেষ চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে খেলা টটেনহ্যাম। ম্যাচ শেষ হয় ৭-২ গোলের বিশাল ব্যবধানে। গিনাব্রি দ্বিতীয় জার্মান ফুটবলার হিসেবে ইউরোপ সেরার আসরে চার গোল করার কীর্তি গড়লেন। এর আগে মারিও গোমেজ বাসেলের বিপক্ষে এই রেকর্ড গড়েন। নাম লিখে রাখার ইঙ্গিত সেজন্যই দিয়েছেন গিনাব্রি।টটেনহ্যাম চ্যাম্পিয়নস লিগের আসরে সাত গোল হজম করেছে আর রেকর্ড হবে না তা কি হয়! ঘরের মাঠে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে এই প্রথম সাত গোল হজম করল ইংলিশ ক্লাবটি। ইউরোপ সেরার প্রতিযোগিতায় কোন ইংলিশ ক্লাব এর আগে ঘরের মাঠে এতো বড় ব্যবধানে হারেনি। এর আগে ১৯৯৬ সালে লিগে ৭-১ গোলে নিউক্যাসলের বিপক্ষে হারে তারা। চলতি মৌসুমে লেভানডভস্কি সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ১০ ম্যাচ খেলে ১৪ গোল করেছেন। শীর্ষ পাঁচ লিগের আর কেউ এতো গোল করতে পারেননি এখনও।
খেলা, ফুটবল, চ্যাম্পিয়নস লিগ-২০২০, বায়ার্ন-টটেনহ্যাম
উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে জাবিতে অবরোধ
প্রকাশ: ০২ অক্টোবর ২০১৯ | ০১:২৩ | আপডেট: ০২ অক্টোবর ২০১৯ | ০৪:০৮
উন্নয়ন প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের পদত্যাগের দাবিতে দুই দিনব্যাপী অবরোধ কর্মসূচি শুরু হয়েছে।বুধবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ও পুরাতন প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে অবরোধ শুরু করেন আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। তারা অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের বিরুদ্ধে উন্নয়ন প্রকল্পে দুর্নীতি ও নৈতিক স্খলনের অভিযোগ তুলে তার স্বেচ্ছা পদত্যাগে ১ অক্টোবর পর্যন্ত সময় বেধে দেন। ওই সময়ের মধ্যে পদত্যাগ না করায় সকাল থেকে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে অবরোধের ডাক দেন আন্দোলনকারীরা। এর আগে মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে উপাচার্য ফারজানা ইসলাম আন্দোলনরতদের দাবি 'অযৌক্তিক' অ্যাখ্যা দিয়ে তিনি পদত্যাগ করবেন না বলে জানান। অবরোধ চলাকালে বিক্ষোভ মিছিলঅবরোধ কর্মসূচির অংশ হিসেবে মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশমাইল এলাকায় পরিবহন ডিপো অবরোধ করেন আন্দোলনরতরা। ফলে ক্যাম্পাস থেকে রাজধানীসহ বিভিন্ন রুটে কোনো গাড়ি ছেড়ে যেতে পারেনি। সকাল সাড়ে ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ও পুরাতন প্রশাসনিক ভবনের সবগুলো ফটক আটকে অবস্থান নেন আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এর ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কার্যক্রমে অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে। তবে বিভিন্ন বিভাগ ও ইনস্টিটিউটের চূড়ান্ত পরীক্ষা অবরোধের আওতামুক্ত রয়েছে। এদিকে দুর্নীতিবাজদের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন উপাচার্য সমর্থক শিক্ষকরা। বুধবার বেলা ১১টায় 'বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদের ব্যানারে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের পাদদেশে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা।
জাবি, অবরোধ
যে কারণে বিয়ের পোশাক পরে ঘুরে বেড়ান তিনি!
প্রকাশ: ০২ অক্টোবর ২০১৯ | ০১:২৯
বেশিরভাগ নারীই বিয়ের পেশাকটি যত্নে তুলে রাখেন। কেউ কেউ মাঝে মধ্যে হয়তো সেটি বের করে স্মৃতি রোমন্থন করেন। কেউ বা তার পরবর্তী প্রজন্মের হাতে সেটি তুলে দেন। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ান নারী ট্যামি হল তার বিয়ের পোশাকটি অন্য সবার মতো যত্নে তুলে রাখেননি। মাছ শিকার করতে, ফুটবল খেলতে, এমনকী ব্যায়ামাগারে তিনি পরে যান বিয়ের পোশাক।অদ্ভুত শোনালেও এমনই কাণ্ড করে চলেছেন অ্যাডিলেটের বাসিন্দা ৪৩ বছরের ট্যামি। বিষয়টি এমন নয়, ট্যামি তার বিয়ের সুন্দর সাদা গাউনটি নিয়ে খুবই আপ্লুত। বরং একজন পরিবেশবিদ হওয়ার কারণে তিনি ভোগবাদী জীবনধারা থেকে দূরে সরে আরও টেকসই জীবন যাপনের চিন্তা থেকে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। বিষয়টি আরেকটু খোলাসা করে বলতে গেলে, ট্যামি মনে করেন, দামি বিয়ের পোশাকটি সব জায়গায় পরে গেলেই এর যথাযথ ব্যবহার হবে। ট্যামি জানান, গত বছরের অক্টোবরে অর্কেস্ট্রা ম্যানেজার কারেন ফ্রস্টকে তিনি বিয়ে করেন। ওই সময় বিয়ের পোশাক তৈরি করতে তাকে খরচ করতে হয়েছে ৯৮৬ পাউন্ড, বাংলাদেশী টাকায় যার মূল্য ১ লাখ টাকার ওপরে। ট্যামির মতে, একটি মাত্র পোশাকে এত টাকা খরচ করে শুধু শুধু ফেলে রাখা ঠিক নয়। এ কারণে তিনি সেটা বিভিন্ন জায়গায় ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেন। ট্যামি জানান, বিয়ের আগে ২০১৬ সালে একবার ভারতে ঘুরতে গিয়েছিলেন। মানুষ কত কষ্ট করে বেঁচে আছে সে অভিজ্ঞতা তিনি সেখান থেকে পেয়েছেন। ট্যামি বলেন, ‘ ওই ভ্রমণে গিয়ে আমার মনে হয়েছে মানুষের ভোগবাদী মানসিকতা সমাজকে কতটা গ্রাস করেছে’। তিনি আরও বলেন, ‘ দেশে আসার পর, এক বছরে নতুন কোনও পোশাক বা জুতা না কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।’ট্যামি জানান, অনেক টাকা খরচ করে বিয়ের পোশাক মাত্র কয়েক ঘণ্টার জন্য পরা হয়। এটা মোটেও ঠিক নয়। এ কারণে তিনি ঠিক করেছিলেন, বিয়ের পোশাক তৈরির পর তিনি বারবার সেটা ব্যবহার করবেন। আশ্চর্য শোনালেও দামি বিয়ের পোশাকটি পরে ট্যামি গণ পরিবহনে যাতায়ত করেছেন, নিউজিল্যান্ডের হবিবিটনে কাঠ কাটতে গিয়েও এটি ব্যবহার করেছেন। এমনকী পাহাড়ে উঠার সময়ও পোশাকটি পরেছিলেন তিনি ।এখন  স্বামীর সঙ্গে আইসল্যান্ডে ভ্রমণের সময় এটি পরার পরিকল্পনা করছেন। সূত্র : এনডিটিভি 
আন্তর্জাতিক, অস্ট্রেলিয়া
জুভদের দারুণ জয়ে রোনালদোর গোল
প্রকাশ: ০২ অক্টোবর ২০১৯ | ০১:৫১
জুভেন্টাস কোচ মোরিজিও সারির পছন্দের স্ট্রাইকার গঞ্জালো হিগুয়েইন চ্যাম্পিয়নস লিগের ম্যাচে বায়ার লেভারকুসেনের বিপক্ষে শুরুতে গোল মুখ খোলেন। পরে এক গোলে সহায়তা দেন তিনি। তার জাদুতে ঘরের মাঠে ৩-০ গোলের জয় তুলে নেয় ইতালির জায়ান্ট জুভেন্টাস। দলের হয়ে ম্যাচের শেষ সময়ে গোল করেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। এর আগে চ্যাম্পিয়নস লিগের শুরুর ম্যাচে অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে সমতা করে জুভরা।ম্যাচের ১৭ মিনিটে গোল করেন হিগুয়েইন। এরপর ৬১ মিনিটে হিগুয়েইনের পাস ধরে গোল করেন বার্নারদেসি। ম্যাচের ৮৮ মিনিটে গোল করেন সিআরসেভেন। তাকে গোল সহায়তা দেন পাওলো দিবালা। ওদিকে প্রথম ম্যাচে রোনালদোদের বিপক্ষে ঘরের মাঠে কষ্টের সমতা করা অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদ ২-০ গোলের জয় পেয়েছে। লোকোমোটিভ মস্কোর মাঠে জয় পেয়েছে তারা। দলের হয়ে এক গোল করেছেন পর্তুগালের তরুণ তারকা জোয়াও ফেলিক্স।প্রথম ম্যাচে রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে ৩-০ গোলের বড় জয় পাওয়া পিএসজি গ্রুপ পর্বের দ্বিতীয় ম্যাচেও জয় পেয়েছে। তারা ১-০ গোলে হারিয়েছে গ্যালাতাসারেকে। ঘরের মাঠে রিয়ালের বিপক্ষে দাপট দেখালেও গ্যালাতাসারের মাঠে বেশ ধুঁকতে হয়েছে তাদের। দলের জয়ে গোল করেছেন ইন্টার থেকে ধারে পিএসজি আসা আর্জেন্টিনা স্ট্রাইকার মাউরো ইকার্দি।অন্যদিকে ঘরের মাঠে ডায়নামো জাগরেবের বিপক্ষে ২-০ গোলে জিতেছে পেপ গার্দিওয়ালার ম্যানচেস্টার সিটি। দ্বিতীয়ার্ধের ৬৬ মিনিটে রাহিম স্টারলিং এবং যোগ করা সময়ে ফোডেন গোল করে দলকে সহজ জয় এনে দেন। অন্যদিকে রেড স্টার বেলগ্রেড ঘরের মাঠে অলিম্পিয়াকোসের বিপক্ষে ৩-১ গোলের বড় জয় তুলে নিয়েছে।
খেলা, ফুটবল, চ্যাম্পিয়নস লিগ-২০২০, জুভেন্টাস-বায়ার লেভারকুসেন, অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদ-মস্কো, ম্যানসিটি-জাগরেব, রেড স্ট্রার-অলিম্পিয়াকোস, পিএসজি-গ্যালাতাসারে
আফগানিস্তানে তালেবানের হামলায় ১১ পুলিশ নিহত
প্রকাশ: ০২ অক্টোবর ২০১৯ | ০২:২১ | আপডেট: ০২ অক্টোবর ২০১৯ | ০৪:২৫
আফগানিস্তানের বলখ প্রদেশের পুলিশ সদর দফতরে হামলা চালিয়ে ১১ পুলিশকে হত্যা করে সেখানে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে জঙ্গি গোষ্ঠী তালেবানের সদস্যরা।মঙ্গলবার দেশটির কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন। খবর রয়টার্সের।বিদ্রোহীদের একটি দল সোমবার সন্ধ্যা থেকে বলখের শরতেপা জেলায় হামলা শুরু করে পরদিন মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত তা চালিয়ে যায়।বলখের গভর্নরের মুখপাত্র মুনির ফরহাদ জানান, এক লড়াইয়ের পর তালেবান যোদ্ধারা জেলা পুলিশ সদর দফতরে দখল নিয়ে তাতে আগুন লাগিয়ে দেয়।পরে আফগানিস্তানের জাতীয় প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা বাহিনীগুলোর অতিরিক্ত সেনারা দফতরটি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে আনে।তালেবান মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ হামলায় ৩০ পুলিশ নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন। তারা অনলাইনে একটি ভিডিও পোস্ট করে আগুনে জ্বলতে থাকা পুলিশ সদর দফতর ও লুট করা অস্ত্র দেখিয়েছেন।সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আফগান পুলিশ তালেবান হামলার প্রধান লক্ষ্যে পরিণত হয়েছে।গত মাসে যুক্তরাষ্ট্র-তালেবান শান্তি আলোচনা ভেঙে যায়। আর এরপর থেকেই আফগানিস্তানজুড়ে লড়াই তীব্র হয়ে উঠেছে।
তালেবান, হামলা, নিহত
সীতাকুণ্ডে কন্টেইনার ডিপোতে কাজ করতেন ৪৫ রোহিঙ্গা
প্রকাশ: ০২ অক্টোবর ২০১৯ | ০২:২৩
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে একটি কন্টেইনার ডিপোতে দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে কাজ করতেন ৪৫ রোহিঙ্গা। কম মজুরিতে তাদের কাজ করাতো কন্টেইনার ডিপোর মালিক পক্ষ। একটি বিদেশি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যৌথ মালিকানায় এই ডিপোটি পরিচালিত হয়ে আসছে। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে ওই প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে ৪৫ রোহিঙ্গা নাগরিককে আটক করে পুলিশ। আটক রোহিঙ্গাদের কক্সবাজারের উখিয়া থেকে কম মজুরিতে কাজ করার জন্য স্থানীয় এক মাঝির মাধ্যমে এখানে নিয়ে আসে মালিক পক্ষ। পুলিশ রোহিঙ্গাদের সীতাকুণ্ডে আনার সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করার অনুসন্ধানে নেমেছে। এ বিষয়ে মামলা দায়ের হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার রাতে সীতাকুণ্ড থানা পুলিশ গোপন সূত্রে জানতে পারে একদল রোহিঙ্গা সোনাইছড়ি ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের একটি ঘরে অবস্থান করে পার্শ্ববর্তী একটি বেসরকারি কারখানায় কাজ করছে। রাত সাড়ে ১২টার দিকে স্থানীয় বাসিন্দা মোবারকের একটি ঘর থেকে তাদের উদ্ধার করে পুলিশ।সীতাকুণ্ড থানার ওসি (তদন্ত) শামীম শেখ বলেন, উখিয়ার কতুংপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে পালিয়ে রোহিঙ্গারা সীতাকুণ্ডের কেশবপুরের মোল্লাপাড়ার মোবারক সওদাগরের আশ্রয়ে আসে। তার ঘর থেকে ৪৫ রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়েছে। অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। এছাড়া তাদের আশ্রয়দাতাদের বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান ওসি (ইন্টেলিজেন্স) সুমন বণিক।বিএম কন্টেইনার ডিপোর ম্যানেজার মো. খালেদ বলেন, মো. মনসুর, মা এন্টারপ্রাইজ ও খাজা এন্টারপ্রাইজ নামে তিনটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান লেবার ডেলিভারি দিয়ে থাকে। সেখানে কোনো রোহিঙ্গা আছে কী না আমাদের জানা নেই। তিনি বলেন, কন্টেইনার ডিপোতে কাজ করার সময় কোনো রোহিঙ্গা আটক হয়নি। কারখানার বাহিরে রোহিঙ্গা আটক হলে তার দায়-দায়িত্ব কর্তৃপক্ষ নেবে না।স্থানীয় বাসিন্দা জসিম উদ্দিন বলেন, কয়েক বছর ধরে এখানে রোহিঙ্গারা বসবাস করে আসছেন। তারা কন্টেইনার ডিপোতে নিয়মিত চাকরি করতেন। প্রথমে কয়েকজন থাকলেও এখন অনেক বেড়েছে। ৪৫ জন রোহিঙ্গা আটকের পর বিএম কন্টেইনার ডিপোর ঠিকাদার মনছুর গা ঢাকা দিয়েছেন।
সীতাকুণ্ড, রোহিঙ্গা
বাংলাদেশের বিপক্ষে নেই হার্ডিক পান্ডিয়াও
প্রকাশ: ০২ অক্টোবর ২০১৯ | ০২:২৯
জাসপ্রিত বুমরাহ তার পিঠের নিচের অংশের ব্যাথার জন্য ইংল্যান্ডে যাচ্ছেন চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে। চলতি মাসের ছয়-সাত তারিখের দিকে তার দেশ ছাড়ার কথা। সেখানে তিনি কয়েকজন ডাক্তারের পরামর্শ নেবেন। ইনজুরি গুরুতর হলে বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে খেলা হবে না তার। সঙ্গে হার্ডিক পান্ডিয়ারও বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড তেমনই জানিয়েছে।হার্ডিক পান্ডিয়াও পিঠের নিচের অংশে ব্যাথা অনুভব করছেন। তিনিও ইংল্যান্ডে যাবেন চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে। এর আগে এশিয়া কাপের সময় একই ইনজুরিতে ছিলেন ভারতের এই পেস অলরাউন্ডার। ওই আসরের পরে যে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েছিলেন এবারও তারই সঙ্গে ইনজুরি নিয়ে কথা বলবেন হার্ডিক। সেজন্য বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-২০ সিরিজে তিনি অনিশ্চিত। টেস্ট সিরিজটা আরও প্রায় ১০ দিন পরে শুরু হলেও সেখানেও খেলার সম্ভবান কম তার।ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) এক কর্মকর্তা পিটিআইকে বলেন, 'হার্ডিক পান্ডিয়াও ইংল্যান্ডে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করতে যাবে। বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজে সে অনিশ্চিত। তবে সব মিলিয়ে কতদিন তাকে ক্রিকেটের বাইরে থাকতে হবে বলা যাচ্ছে না। ইংল্যান্ড থেকে ফিরে আসলেই সেটা জানা যাবে।'দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ভারতের টেস্ট সিরিজের দলে রাখা হয়নি হার্ডিককে। তবে শুরুতে কথা বেরিয়েছিল, ইনজুরি জাতীয় কিছু তার নেই। বরং কৌশলগত কারণে হার্ডিক টেস্টের দল থেকে বাদ পড়েছেন। তবে বিজয় হাজারি কাপে তিনি খেলতে না পারায় তার ইনজুরির ব্যাপারটা জটিল বলেই মনে করা হচ্ছে। এমনকি আগামী আইপিএলে তিনি ফিরতে পারবেন কি-না সেই প্রশ্নও উঠছে। বাংলাদেশ আগামী ৩ নভেম্বর থেকে ভারতের বিপক্ষে টি-২০ সিরিজ শুরু করবে।
খেলা, ক্রিকেট, বাংলাদেশ-ভারত, হার্ডিক পান্ডিয়া
গৃহবন্দিত্ব থেকে মুক্ত জম্মুর নেতারা
প্রকাশ: ০২ অক্টোবর ২০১৯ | ০২:৩১ | আপডেট: ০২ অক্টোবর ২০১৯ | ০৪:০৬
প্রায় দুই মাস গৃহবন্দি থাকার পর অবশেষে মুক্তি পেলেন ভারতের জম্মুর রাজনৈতিক নেতারা। সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল করে রাজ্যকে দু'টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভক্ত করার ব্যাপারে সরকারের পদক্ষেপের পর থেকে জম্মু ও কাশ্মীরের রাজনৈতিক নেতাদের আটক করা হয়। অবশেষে জম্মুর রাজনৈতিক নেতাদের বন্দিদশা ঘুচলো। খবর এনডিটিভির। তবে কাশ্মীরের পরিস্থিতি এখনও একই রয়েছে। সেখানকার রাজনৈতিক নেতারা এখনও গৃহবন্দি রয়েছেন। সরকারি সূত্র জানিয়েছে, সামনে ব্লক উন্নয়ন কাউন্সিলের নির্বাচনের কারণে জম্মুর নেতাদের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছে। এই নির্বাচন পঞ্চায়েতরাজ ব্যবস্থার দ্বিতীয় পর্যায়। ক'দিন আগেই ব্লক উন্নয়ন কাউন্সিলের নির্বাচনের ঘোষণা করেছে সরকার।সরকারি সূত্রে জানা গেছে, জম্মু এখন শান্ত। সোমবার জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্য নির্বাচ‌নী আধিকারিক নির্বাচনের কথা ঘোষণা করার পরই রাজনৈতিক নেতাদের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার কথা জানানো হয়।জম্মুতে গৃহবন্দি অবস্থা থেকে মুক্তিপ্রাপ্তরা হলেন-দেবেন্দর সিংহ রানা, রমন ভাল্লা, হর্ষদেব সিংহ, চৌধুরীলাল সিংহ, ভিকার রসুল, জাভেদ রানা, সুরজিৎ সিংহ স্লাথিয়া ও সাজ্জাদ আহমেদ কিচলু।৩৭০ ধারা বাতিলের পর রাজ্যের প্রায় ৪০০ রাজনৈতিক নেতাকে হয় আটক, নয়তো গৃহবন্দি করা হয়। তাদের মধ্যে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি, ওমর আবদুল্লা, ফারুক আবদুল্লাও রয়েছেন। গত ৫৭ দিন ধরে কাশ্মীর উপত্যকার যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন। নেই ইন্টারনেট পরিষেবাও।আগামী ২৪ অক্টোবর ৩০০টি ব্লক উন্নয়ন কাউন্সিলের নির্বাচন। ওইদিনই গণনা হবে। ২৬ হাজার পঞ্চায়েত সদস্য ভোট দেবেন।
জম্মু, গৃহবন্দি
বাংলাদেশে আসছে ‘জোকার’
প্রকাশ: ০২ অক্টোবর ২০১৯ | ০২:৪১
দারুন একটি গল্প। যে গল্পে আছে সংগ্রাম, অবহেলা, ঠকে যাওয়া  আর অশ্রদ্ধায়ভরা জীবন। এই সবেরই প্যাকেজ হচ্ছে বলিউডের আলোচিত ছবি ‘জোকার’। গোথাম শহরের এক ব্যর্থ কমেডিয়ানকে নিয়ে ‘জোকার’-এর গল্প। শিল্পীর সম্মানের বদলে অবহেলা-অশ্রদ্ধায় ঠকতে ঠকতে একসময় উন্মাদ হয়ে যায় সে। একপর্যায়ে নিজেই হয়ে পড়ে নৃশংস অপরাধী। সাড়ে পাঁচ কোটি মার্কিন ডলার ব্যয়ে নির্মিত ডিসি ফিল্মসের এ ছবিটি আন্তর্জাতিকভাবে মুক্তি পেতে যাচ্ছে ৪ অক্টোবর। একই দিনে বাংলাদেশের স্টার সিনেপ্লেক্সেও মুক্তি পাবে ছবিটি।ভেনিস আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনী প্রদর্শনী শেষে বোঝা যায়, চলচ্চিত্রটি সারা বিশ্বের কাছে সমাদৃত না হয়ে পারে না। ইতিমধ্যে সমালোচকেরা একে দিয়েছেন গোল্ডেন এ প্লাস। কোনো কোনো রিভিউ বলছে, জোকারের অস্কার আটকায় কে! ছবিটি নিয়ে শুরু থেকেই দর্শকদেরও বেশ আগ্রহ রয়েছে। ভেনিসেও তার নজির পাওয়া গেল। সেখানে দু’টি প্রেস স্ক্রিনিং ও রেড কার্পেট প্রিমিয়ার হয়। প্রদর্শনী শেষে যখন ফিনিক্সের নাম দেখানো হয় তখন উচ্ছ্বসিত দর্শকদের হাততালি থামছিল না। টানা প্রায় আট মিনিট দাঁড়িয়ে তাকে সম্মান জানায় দর্শকরা। ‘ব্যাটম্যান’র সেই কুখ্যাত খলনায়ক জোকারের ব্যক্তিগত কাহিনী নিয়ে নির্মিত সিনেমা ‘জোকার’। ভেনিস চলচ্চিত্র উৎসবে সিনেমাটির প্রিমিয়ার প্রদর্শনীর পর দর্শক-সমালোচকরা এর উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করছেন। নামচরিত্রের অভিনেতা জোয়াকুইন ফিনিক্স ভেসেছেন প্রশংসার জোয়ারে। জোয়াকুইন ফিনিক্স হলেন ডিসি কমিকস্ সিরিজের সবচেয়ে ভয়ংকর সুপার ভিলেন চরিত্রের রূপদানকারী। ‘দ্য ব্যাটম্যান’ সিনেমার প্রতিশোধ পরায়ন তুখোড় খলনায়ক ছিলেন তিনি। এবার টড ফিলিপস্ পরিচালিত ‘জোকার’ সিনেমার প্রধান চরিত্রে অভিনয় করছেন এই অভিনেতা। ‘জোকার’ ডিসি কমিকস ইউনিভার্সের অংশ হলেও এতে ব্যাটম্যান বা অন্য কোনো সুপারহিরোকে যুক্ত করা হয়নি। গল্প আবর্তিত হয়েছে শুধু জোকারকে কেন্দ্র করে।
জোকার, হলিউড মুভি, বিনোদন
রোহিঙ্গাদের পরিচয়পত্র দেবে মিয়ানমার: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
প্রকাশ: ০২ অক্টোবর ২০১৯ | ০২:৪৪ | আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০১৯ | ০৮:৩৬
মিয়ানমারের সেনাবাহিনী কর্তৃক গণহত্যা ও নির্যাতনের মুখে পালিয়ে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের পরিচয়পত্র দিতে মিয়ানমার সম্মত হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন।বুধবার দুপুরে বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে 'সহিংসতা ও উগ্রবাদ প্রতিরোধে যুব সমাজের ভূমিকা' শীর্ষক এক আলোচনা সভায় অংশ নিতে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এ কথা জানান।পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'নাগরিকত্ব শনাক্তকরণে রোহিঙ্গাদের যে আবেদনপত্র পূরণ করতে দেওয়া হয়েছিল, তাতে ভুল থাকার কথা স্বীকার করেছে মিয়ানমার। শনাক্ত হওয়া নাগরিকদের যত দ্রুত সম্ভব ফিরিয়ে নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছে মিয়ানমার।'তিনি জানান, রোহিঙ্গা সংকট যে মিয়ানমারের তৈরি এবং এর সমাধান তাদেরই করতে হবে, সেই বিষয়টিতে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে প্রায় সব দেশ মত দিয়েছে।আবদুল মোমেন বলেন, 'জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের সাইড লাইনে বাংলাদেশ, চীন ও মিয়ানমারের সঙ্গে ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে শক্তিশালী আলোচনা হয়েছে। রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে যৌথ কমিশন করা হবে। যাতে তারা তাদের নাগরিকদের ফেরত নিয়ে যায়।'
পররাষ্ট্রমন্ত্রী, একে আব্দুল মোমেন, মিয়ানমার, রোহিঙ্গা, পরিচয়পত্র
ওপেনিংয়ে নেমেই সেঞ্চুরি রোহিতের
প্রকাশ: ০২ অক্টোবর ২০১৯ | ০২:৫৬ | আপডেট: ০২ অক্টোবর ২০১৯ | ০৪:৪৭
ক্যারিয়ারে রোহিত শর্মা ওয়ানডে খেলেছেন দুইশ' ছাড়ানো। টি-২০ ক্রিকেটে একশ' ম্যাচ খেলার অপেক্ষায় আছেন তিনি। ওয়ানডে এবং টি-২০ দুই ফরম্যাটেই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান থেকে ওপেনার বনে গেছেন। নিজেকে নিয়ে গিছেন বর্তমান সময়ের বিধ্বংসী এবং অন্যতম সেরা ওপেনারের কাতারে। তার ওয়ানডে, টি-২০ র‌্যাংকিংও তাই বলে। কিন্তু ক্যারিয়ারে টেস্ট খেলছেন মাত্র ২৮টি। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বিশাখাপত্তনমে ২৮তম টেস্টে প্রথম ওপেন করতে নামেন তিনি। প্রথম পরীক্ষাই তুলে নিয়েছেন সেঞ্চুরি।দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তিন টেস্টের সিরিজের প্রথম ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিং নেয় ভারত। মায়াঙ্ক আগারওয়ালের সঙ্গে টেস্টে প্রথমবার ওপেন করতে নামেন রোহিত শর্মা। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের নির্বাচকরা কেএল রাহুল, শেখর ধাওয়ানদের দলে রাখেননি। তরুণ ব্যাটসম্যান শুভমন গিল থাকলেও দলে জায়গা পাননি তিনি। এছাড়া দল ঘোষণার সময় জানিয়ে দেওয়া হয় টেস্টে রোহিত ওপেন করবেন।সেই পরীক্ষা দিতে নেমে দুর্দান্ত শুরু করেন রোহিত। প্রথম দিনের দ্বিতীয় সেশনের চা বিরতি পর্যন্ত ভারত কোন উইকেট না হারিয়ে ২০২ রান তুলে ফেলে। এরপর বৃষ্টি নামলে প্রথম দিন আর খেলা হয়নি। রোহিত শর্মা ১১৫ রানে দ্বিতীয় দিন শুরু করবেন। দারুণ ইনিংস খেলার পথে ১২টি চার এবং পাঁচটি ছক্কা তুলেছেন তিনি। তার সঙ্গে ব্যাট করা মায়াঙ্ক আগারওয়ালও সেঞ্চুরির পথে আছেন। তিনি করেছেন ৮৪ রান।টেস্ট ক্যারিয়ারে এটি রোহিতের চতুর্থ সেঞ্চুরি। ক্যারিয়ার সেরা ১৭৭ রানের ইনিংস খেলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। এছাড়া ক্যারিয়ারে দশটি হাফ সেঞ্চুরি আছে তার। রোহিতের ২০০৭ সালে ভারতের হয়ে ওয়ানডে এবং টি-২০ অভিষেক হয়। এর ছয় বছর বাদে ২০১৩ সালে টেস্ট অভিষেক হয় রোহিত শর্মার। কিন্তু টেস্টে মিডল অর্ডারে দারুণ কিছু ইনিংস খেলেলেও নিয়মিত হতে পারেননি তিনি।
খেলা, ক্রিকেট, ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা, রোহিত শর্মা, ওপেনিংয়ে টেস্ট সেঞ্চুরি
সর্দি-কাশি সারাতে উপকারী যে ফলের রস!
প্রকাশ: ০২ অক্টোবর ২০১৯ | ০২:৫৮
আবহাওয়া পরিবর্তনের সময় অনেকেই সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হন। ঠাণ্ডা লাগলে নাক দিয়ে পানি পড়া, গলা ব্যথা কিংবা মাথা ব্যথা হয়-যা কারোই ভালো লাগে না। অনেকেই সামান্য সর্দি-কাশি হলে ওষুধ খাওয়া শুরু করেন। তবে ওষুধ ছাড়াও একটি ফলের রস সর্দি-কাশি সারাতে ভূমিকা রাখে।সুস্বাদু এবং পুষ্টি গুণ সম্পন্ন আনারস সর্দি-কাশি সারাতে দারুণ উপকারী। ২০১০ সালের এক গবেষণায় দেখা গেছে, আনারস যক্ষ্মা চিকিৎসায় কার্যকরী ভূমিকা রাখে। এতে থাকা নানা উপাদান গলা প্রশমিত করতে এবং কফ দ্রবীভূত করতে সহায়তা করে।জীবাণু প্রতিরোধী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় আনারস হজমে সহায়তা করে। সেই সঙ্গে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এ ফলে থাকা অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরী উপাদান অ্যালার্জি ও অ্যাজমা প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে। আনারসের রস বানানোর তিনটি পদ্ধতি রয়েছ। যেমন-১. এক বাটি আনারস নিয়ে ব্লেন্ড করুন। এবার এতে এক চামচ মধু যোগ করুন। আনারস ও মধু দুটিই গলা এবং নাক পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। ২. এক বাটি পরিমাণে আনারস ব্লেন্ড করুন। এবার এতে মধু, এক চিমটি লবণ আর এক চিমটি গোলমরিচের গুঁড়া যোগ করুন।দিনে তিনবার এ মিশ্রণটি পান করলে সর্দি-কাশির সমস্যা কমে যাবে।৩. এক কাপ আনারসের রসে এক টেবিল চামচ মধু, এক চামচ আদা কুচি, ১ চিমটি লবণ, সামান্য মরিচের গুঁড়া নিয়ে ব্লেন্ড করুন। দিনে ৩ থেকে ৪বার এ মিশ্রণটি অল্প করে পান করুন। এতে গলা ব্যথা কিংবা সর্দি-কাশির সমস্যা কমে যাবে। সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া 
জীবনশৈলী, খাবার
বাগান ব্যবস্থাপককে অপসারণের দাবিতে চা শ্রমিকদের কর্মবিরতি
প্রকাশ: ০২ অক্টোবর ২০১৯ | ০৩:২৩ | আপডেট: ০২ অক্টোবর ২০১৯ | ০৪:০৩
হবিগঞ্জের চুনারুঘাটের নালুয়া চা বাগানের সহকারী ব্যবস্থাপক ইকবাল হোসেনকে অপসারণের দাবিতে চা শ্রমিকরা কর্মবিরতি পালন করেছেন। বুধবার সকাল ৮টা থেকে ১২টা পর্যন্ত চা শ্রমিকরা সহকারী ব্যবস্থাপকের বিরুদ্ধে চা পাতা চুরি, বাগানের গাছ চুরি এবং শ্রমিকদের মজুরি আত্মসাতের অভিযোগ এনে তার অপসারণের দাবিতে বাগানের কাজ বন্ধ করে দেন।দুপুর ১২টায় বাগান ম্যানেজার জহিরুল ইসলাম তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। বৈঠকে শ্রমিকরা ওই সহকারী ব্যবস্থাপকের অপসারণের দাবি জানান। শ্রমিক নেতা উপেন্দ্র মুন্ডা জানান, সহকারী ব্যবস্থাপক দীর্ঘদিন যাবৎ বাগানের চা পাতা চুরি, গাছ চুরি ও শ্রমিকদের মজুরি আত্মসাত করে আসছেন। আমরা এর প্রতিবাদ জানিয়ে কর্মবিরতি পালন করেছি। এ বিষয়ে বাগান ব্যবস্থাপক জহিরুল ইসলাম জানান, শ্রমিকদের অভিযোগ শুনেছি। তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা পেলে ওই ব্যবস্থাপকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 
চা শ্রমিক, কর্মবিরতি
দুই বছর পর ‘ময়ূর সিংহাসন’
প্রকাশ: ০২ অক্টোবর ২০১৯ | ০৩:২৫
মঞ্চের জনপ্রিয় নাটক ‘ময়ূর সিংহাসন’। আরণ্যক নাট্যদলের দর্শকপ্রিয় প্রযোজনা এটি। ১৯৯৯ সালে প্রথম মঞ্চে আনা হয় নাটকটি। ২০০৯ সালে নাটকটির শততম মঞ্চায়ন অনুষ্ঠিত হয়। শততম মঞ্চায়নের পর অনেকটা অনিয়মিতভাবেই প্রদর্শিত হয়ে আসছে এটি।এবার প্রায় দুই বছর পর মঞ্চস্থ হতে যাচ্ছে ‘ময়ূর সিংহাসন’। আগামী ৮ অক্টোবর সন্ধ্যা ৭টায় বাংলাদেশ মহিলা সমিতি মিলনায়তনে প্রদর্শিত হবে আরণ্যকের ৩২তম এই প্রযোজনা। মান্নান হীরা রচিত নাটকটির নির্দেশনায় রয়েছেন শাহ আলম দুলাল।নাটক প্রসঙ্গে নির্দেশক বলেন, আমাদের সমাজে একটি প্রচলিত ধারণা আছে, ক্ষমতার নিকটবর্তী মানুষেরাই দেশপ্রেমিক হয়ে থাকে। কিন্তু দল, ক্ষমতা এ সবের বাইরেও বিশাল জনগোষ্ঠীর মধ্যে কোথায় কীভাবে দেশপ্রেমের অগ্নিশিখা প্রজ্বলিত রয়েছে তা দেখার অভ্যাস আমাদের গড়ে উঠেনি বললেই চলে। অথচ কত নিভৃত পল্লীতে দেশপ্রেমকে বুকে বেঁধে কত বীর নীরবে শাসকের হাতে নিগৃহীত হয়েছে, আজও হচ্ছে, তার হিসাব আমরা ক’জন রাখি?নাটকটির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করছেন— মামুনুর রশীদ, মান্নান হীরা, মোমেনা চৌধুরী, তমালিকা কর্মকার, আমানুল হক হেলাল, পরিমল মজুমদার, আমিনুল হক, আমিন আজাদ প্রমুখ। আমাকে শয্যাসঙ্গিনী হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন পরিচালক’
ময়ূর সিংহাসন
ইমাম-মুয়াজ্জিনদের সরকারি চাকরির আওতায় আনা উচিত: র‌্যাব মহাপরিচালক
প্রকাশ: ০২ অক্টোবর ২০১৯ | ০৩:৩৫ | আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০১৯ | ০৮:৩৫
র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটলিয়নের (র‌্যাব) মহাপরিচালক বেনজীর আহমদ বলেছেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে বিশ্বাস করি, সব ইমাম ও মুয়াজ্জিনদের সরকারি চাকরির আওতায় আনা উচিত। তাহলে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই সহজ হবে। তাহলে আমরা অনেক কিছুই করতে পারব। আমার মনে হয় মসজিদের সংখ্যা ৭ লাখের বেশি হবে না। তাদের বেতন দেওয়ার ক্ষমতা বাংলাদেশ সরকারের আছে।বুধবার ঢাকার লেকশোর হোটেলে বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ ইন্সটিটিউট আয়োজিত ‘যুব সমাজের ক্ষমতায়নের মাধ্যমে উগ্রবাদিকরণ ও সহিংস চরমপন্থা রোধ’ শিরোনামে রাজধানীতে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। আলোচনায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবুল মোমেন উপস্থিত ছিলেন।বেনজীর আহমদ বলেন, ইসলামে নিষিদ্ধ সন্ত্রাসবাদ ও মাদকের বিরুদ্ধে জুমআর খুতবায় কিছু বলেন না। আমরা দেখি তারা রাজনৈতিক বক্তব্য দেন। আপনারা (ইমামরা) রাজনীতি করতে চাইলে করেন, কিন্তু মসজিদকে ব্যবহার করবেন না। অনেক চেষ্টার পরেও সন্ত্রাসবাদ ও চরমপন্থার বিরুদ্ধে সাধারণ বিবৃতি দিতে বাংলাদেশের ইসলামী নেতাদেরকে এক জায়গায় আনা যায়নি।
র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটলিয়ন, র‌্যাব, বেনজীর আহমদ
নাইজেরিয়া নয়, ইংল্যান্ডে খেলবেন আব্রাহাম!
প্রকাশ: ০২ অক্টোবর ২০১৯ | ০৩:৪৩ | আপডেট: ০২ অক্টোবর ২০১৯ | ০৩:৪৫
ইংল্যান্ড অনূর্ধ্ব-১৮, অনূর্ধ্ব-১৯ এবং অনূর্ধ্ব-২১ দলে খেলেছেন টেমি আব্রাহাম। খেলেছেন ইংল্যান্ড জাতীয় দলের হয়ে দুটি প্রীতি ম্যাচও। তারপরও টেমি আব্রাহাম পুরোপুরি ইংল্যান্ডের নন। তিনি চাইলে খেলতে পারবেন নাইজেরিয়ার হয়ে। তবে চেলসির এই ২২ বছর বসয়ী তারকা চলতি মাসের ইউরো বাছাইপর্বের দলে থাকলে। আর তিনি যদি ইংল্যান্ডের হয়ে ম্যাচ খেলতে পারেন তবে নাইজেরিয়ায় যাওয়ার সুযোগ থাকবে না তার।প্রীতি ম্যাচ দুটি আন্তর্জাতিক হলেও তিনি চাইলে নাইজেরিয়ায় চলে যেতে পারবেন। তবে প্রতিযোগিতামূলক ইউরো বাছাইপর্বে খেললে তিনি আর ইংল্যান্ড ছাড়াতে পারবেন না। ইংল্যান্ড কোচ গ্যারেথ সাউথগেট বৃহস্পতিবার চেক রিপাবলিক এবং বেলজিয়ামের বিপক্ষে ইউরো বাছাইপর্বের জন্য দল ঘোষণা করবেন। ওই দলে তাই টেমি আব্রাহামকে নেওয়ার সম্ভাবনা খুবই প্রবল।টেমি আব্রহাম চলতি মৌসুমে চেলসির হয়ে সাত গোল করেছেন। মৌসুমে চেলসির সময়টা ভালো যাচ্ছে না। তবে তরুণ টেমি আব্রাহাম আছেন দুর্দান্ত ফর্মে। চলতি মৌসুমে ক্লাবের হয়ে তার চেয়ে বেশি আর কোন ইংলিশ ফুটবলার গোল করতে পারেননি। ইংল্যান্ড দলে ডাক পাওয়ার জন্য তার এই পারফরম্যান্সই যথেষ্ঠ।তবে নাইজেরিয়া আগেও চেষ্টা চালিয়েছে এখনও আব্রহামকে জাতীয় দলে নেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছে। কিন্তু তিনি সাড়া দিচ্ছেন না। টেমি আব্রাহামের বাবা মূলত নাইজেরিয়ান। সেই সূত্রে তার বেড়ে ওঠা ইংল্যান্ডে হলেও তিনি নাইজেরিয়ার হয়ে খেলতে পারবেন। কিন্তু ইংল্যান্ডের বয়স ভিত্তিক দলে দারুণ পারফরম্যান্সের পর চেলসির হয়ে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা আব্রাহাম নাইজেরিয়াকে না করে দিয়েছে। ইংল্যান্ডের হয়ে এবার খেলতে পারলে টেমিকে দলে নেওয়ার আর সুযোগই থাকবে না নাইজেরিয়ার।
খেলা, ফুটবল, টেমি আব্রাহাম, নাইজেরিয়া-ইংল্যান্ড
শিলাইদহ কুঠিবাড়ি রক্ষা বাঁধে ফের ধস, আতঙ্কে বাসিন্দারা
প্রকাশ: ০২ অক্টোবর ২০১৯ | ০৪:০২
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে শিলাইদহ কুঠিবাড়ি রক্ষা বাঁধ প্রকল্পে ফের ধস দেখা দিয়েছে। মাত্র তিন মাস আগে সংস্কার করা ৩০ মিটার অংশ পদ্মায় ধসে পড়েছে। বুধবার সকাল ৯টার দিকে বাঁধ ধসে পানিতে চলে যায়। এতে বাঁধের ওপর কয়েক বাড়ির বাসিন্দারা চরম আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন। এই ৩০ মিটার ছাড়াও পাশে ১০০ মিটার বাঁধও গত বছর ভেঙে যায়। সেই সংস্কার করা অংশটিও ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। কুমারখালীর কয়া ইউনিয়নের কালোয়া গ্রামে বাঁধের এ অংশটি পড়েছে। বাঁধে ধস দেখা দেওয়ার পর পানি উন্নয়ন বোর্ড সিসি ব্লক ও জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন প্রতিরোধ করার চেষ্টা করছে।স্থানীয়দের অভিযোগ, অনিয়মের ফলেই বার বার এমন ঘটনা ঘটছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কুষ্টিয়ার নির্বাহী প্রকৌশলী পীযুষ কৃষ্ণ কুন্ডু বলেন, এ বছর পদ্মায় প্রতিদিন পানি বাড়ছে, যা অতীতের সব রেকর্ডকে ছাড়িয়ে গেছে। এতে করে সব বাঁধ নিয়ে শঙ্কা রয়েছে। কুঠিবাড়ি রক্ষা বাঁধের যে অংশ ধসে পড়েছে তা সম্প্রতি সংস্কার করা হয়েছিল। গত বছরও এ অংশটি নদীতে চলে যায়। ভাঙন শুরুর পর পরই ৯ হাজার ব্লকসহ জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ভাঙন বন্ধ হয়ে গেছে। পানি কমলে বাঁধটির এ অংশ পুনরায় মেরামত করা হবে।অনিয়মের বিষয়ে তিনি বলেন, এসব কাজে অনিয়ম করার কোনো সুযোগ নেই। সরকারের উচ্চ পর্যায়ের পর্যবেক্ষণ দল এসব কাজ বুঝে নেয়। পানির চাপ বাড়লে অন্য স্থানেও ক্ষতি হতে পারে। তাই সব প্রস্তুতি আমাদের রয়েছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, ২০১৮ সালে বাঁধ নির্মাণের পর কয়া ইউনিয়নের কালো বাজার থেকে একটু দূরে বাঁধের একটি অংশ নদীতে চলে যায়। তিন মাস আগে টেন্ডারের মাধ্যমে কাজ করেন স্থানীয় এক ঠিকাদার। প্রায় অর্ধকোটি টাকা ব্যয়ে ৩০ মিটার ভাঙন কবলিত অংশ মেরামত করা হয়। তবে সংস্কারের পর তিনমাসও টিকলো না মেরামত করা অংশ।ঐতিহ্যবাহী কুঠিবাড়ি রক্ষায় ১৭৬ কোটি টাকা ব্যয়ে কুষ্টিয়ার কয়া ইউনিয়ন থেকে শুরু করে শিলাইদহ অংশে ৩ হাজার ৭২০ মিটার বাঁধ নির্মাণ করা হয়। কাজ শেষ হওয়ার দুই মাসের মধ্যেই কয়ার কালোয়া অংশে ভাঙন শুরু হয়। দুই অংশ থেকে ১৫০ মিটার বাঁধ নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। সে সময় কাজের অনিয়মের বিষয়টি তুলে ধরে স্থানীয়রা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও পানি উন্নয়ন বোর্ডকে দোষারোপ করে।বাঁধের যে অংশ ধসে পড়েছে, তার ওপর একটি বসতভিটা রয়েছে। বাড়ির বাসিন্দারা জানান, এইবার দিয়ে তিনবার ভাঙলো। সকালে ভাঙন শুরু হওয়ার পর সবার মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। বাড়ি নদীতে চলে গেলে কি হবে সেই কথা ভাবছি। ইতোমধ্যে একটি ঘরের বেশ কিছুটা নদীতে চলে গেছে। সকালে ভাঙনের পর ধসে পড়া অংশে জরুরি ভিত্তিতে জিও ব্যাগ ও সিসি ব্লক ফেলে ভাঙন প্রতিরোধ করার চেষ্টা চলছে। সিসি ব্লক ফেলার পর নতুন করে আর ভাঙন দেখা দেয়নি।এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। জেলা প্রশাসক মো. আসলাম হোসেন বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। নতুন করে আর কোনো জায়গা যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সে ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।কুষ্টিয়া-৪ আসনের সংসদ সদস্য সেলিম আলতাফ জর্জ বলেন, স্থানীয়দের অভিযোগ বাঁধ নির্মাণে অনিয়ম হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড ও ঠিকাদারের যোগসাজসে অনিয়ম হয়েছে বলে সবাই অভিযোগ করছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ২০১৫ সাল থেকে শিলাইদহ কুঠিবাড়ির অদূরে পদ্মা নদীতে তীব্র ভাঙন শুরু হয়। পরে পানি উন্নয়ন বোর্ড নদী তীর সংরক্ষণে প্রকল্প গ্রহণ করে। ২০১৬ সালে সেনাবাহিনীর তত্বাবধানে পানি উন্নয়ন বোর্ড কুঠিবাড়ি ও আশেপাশের জনপদ রক্ষায় ১৭৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে নদী তীর সংরক্ষণের কাজ শুরু হয়। শিলাইদহ এলাকায় পদ্মা নদীর ডান তীর এলাকায় প্রায় ৩ হাজার ৭২০ মিটার দীর্ঘ এ বাঁধ নির্মাণে ২০১৬ সালের ১৩ আগস্ট বাংলাদেশ ডিজেরূপ্লান্ট (বিডিপি) লিমিটেড নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কার্যাদেশ পায়। তবে মূল ঠিকাদারের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ওয়েস্টার্ন ইঞ্জিনিয়ারিং প্রাইভেট লিমিটেড মূলত এ কাজ বাস্তবায়ন করে। 
বাঁধ, ধস, পদ্মা
তিনবার পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ থাকছে
প্রকাশ: ০২ অক্টোবর ২০১৯ | ০৪:১৮
বিপ টেস্টে সবচেয়ে খারাপ করেছেন খুলনা বিভাগের ক্রিকেটাররা। এই দলটিতে তুলনামূলক সিনিয়র ক্রিকেটার বেশি থাকায় ফেলের হারও বেশি। এই ক্রিকেটাররা আরও দু'বার বিপ টেস্ট দিতে পারবেন। বিসিবির নির্বাচক হাবিবুল বাশার জানান, ৪ ও ৬ অক্টোবর হবে বাকি দু'দিনের পরীক্ষা।মঙ্গলবার যারা পরীক্ষা দেননি বা ভেন্যুতে পৌঁছাতে পারেননি, ফেল করাদের পাশাপাশি তারাও পরীক্ষায় অংশ নেবেন। তবে জাতীয় দলের ক্যাম্পে বিপ টেস্টে ১১ স্কোর করা ক্রিকেটারদের নতুন করে আর পরীক্ষা দিতে হবে না। সেদিক থেকে মুশফিকুর রহিম, মেহেদী হাসান মিরাজ, নাজমুল হোসেন শান্তদের পরীক্ষা দিতে হচ্ছে না। বিসিবির প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু জানান, জাতীয় দলের ক্যাম্পে যাদের স্কোর ১১-এর নিচে, জাতীয় লিগে খেলতে পরীক্ষা দিয়ে পাস করতে হবে তাদেরও।জাতীয় লিগে খেলতে হলে বিপ টেস্ট দিয়েই খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে হবে বলে জানান বিসিবির ট্রেইনার তুষার কান্তি হাওলাদার। তিনি বলেন, জাতীয় দলের বিপ টেস্টে যারা ১১-এর নিচে স্কোর করেছেন, তাদের নতুন করে এই পরীক্ষা দিয়ে পাস করতে হবে। আর ফেল করাদের প্রয়োজনে চার-পাঁচবার সুযোগ দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।নির্বাচক বাশারও বললেন তাই, 'ভবিষ্যতের ক্রিকেটের জন্য আমরা একটা উদাহরণ সেট করতে চাই। সেটার প্রথম শর্তই হলো ফিটনেস এবং ফিল্ডিংয়ে ভালো করা। এজন্য দরকার হলে পাঁচবার পরীক্ষার সুযোগ দেব। গতবারও এভাবে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। চার-পাঁচজন প্রথমে টার্গেট স্কোর করতে পারেনি। তারা কিন্তু শুরুতে লীগে খেলার সুযোগ পায়নি। সময় দিয়ে বলা হয়েছিল, তোমরা যখনই টার্গেট স্কোর অর্জন করতে পারবে, তখনই দলে ঢুকবে। এবারও তাই হবে।'বাশার ক্রিকেটারদের আহ্বান জানান বিপ টেস্টকে গুরুত্ব সহকারে নিতে, 'ফিটনেসের জন্য বিপ টেস্ট যেহেতু একটা পরীক্ষা, তাই এটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এটা দিয়েই পরিমাপ করা হচ্ছে কার ফিটনেস কেমন। এর পাশাপাশি মাঠের ভেতরে গেম ফিটনেসও গুরুত্বপূর্ণ।'
খেলা, ক্রিকেট, বাংলাদেশ, বিপ টেস্ট
বাউল সুভাষ ক্ষ্যাপাকে উদ্ধারের দাবিতে গোয়ালন্দে মানববন্ধন
প্রকাশ: ০২ অক্টোবর ২০১৯ | ০৪:৩৭
নিখোঁজ জনপ্রিয় বাউল শিল্পী সুভাষ ক্ষ্যাপাকে উদ্ধারের দাবিতে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে মানববন্ধন হয়েছে। বুধবার বেলা ১১টার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে উপজেলার গোয়ালন্দ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করেন স্থানীয় সাংস্কৃতিককর্মী ও বাউল শিল্পীবৃন্দ।জানা যায়, গত ২৪ সেপ্টেম্বর রাতে পাবনার চাটমোহর রেলস্টেশন থেকে নিখোঁজ হন বাউল সুভাষ ক্ষ্যাপা। এখনও সন্ধান মেলেনি তার। এ বিষয়ে নিখোঁজের ভাই পাবনার বড়াইগ্রাম থানায় অপহরণের মামলা করতে গেলে অন্য এলাকার ঘটনা বলে তা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে।  মানববন্ধন থেকে বাউল সুভাষ ক্ষ্যাপাকে খুঁজে বের করার জন্য প্রশাসনের কাছে দাবি জানানো হয়।এতে বক্তব্য দেন- বাউল আলাউদ্দিন সাঁই, বাউল ইন্তাজ, বাউল নাজির, ইমদাদুল হক পলাশ, নুরুল হক মিলন, সালাউদ্দিন দুলাল, জাকির হোসেন, আ. রাজ্জাক ঠাকুর প্রমুখ।
গোয়ালন্দ
কলকাতায় মুক্তির ৬ বছর পর ঢাকায় ‘বচ্চন’
প্রকাশ: ০২ অক্টোবর ২০১৯ | ০৪:৪০ | আপডেট: ০২ অক্টোবর ২০১৯ | ০৪:৪৩
কলকতার জিৎ অভিনীত ছবি ‘বচ্চন’। ৬ বছর আগে ২০১৪ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর মুক্তি পেয়েছিলো কলকাতায়। পুরোনো এই ছবিই এবার নতুন করে মুক্তি পাচ্ছে বাংলাদেশে। সাফটা চুক্তির আওতায় বাংলাদেশে আনা হয়েছে ছবিটি। এটি আমদানি করেছে ইন উইন এন্টারপ্রাইজ নামের একটি প্রতিষ্ঠান। এটির কর্ণধার মধুমিতা সিনেমা হলের মালিক ইফতেখার উদ্দিন নওশাদ।১১ অক্টোবর বাংলাদেশে মুক্তির কথা নওশাদই সমকাল অনলাইনকে জানালেন। বিনিময় চুক্তিতে মুক্তি প্রতিক্ষিত বচ্চনের বিপরীতে কলকাতায় পাঠানো হয়েছে বাপ্পী-মাহী অভিনীত ‘পলকে পলকে তোমাকে চাই’।নওশাদ সমকাল অনলাইনকে বলেন, ‘সাফটা চুক্তির আওতায় বেশ কিছু ছবি আমদানি করেছিলাম। তার মধ্যে বচ্চন একটি। নানা কারণে ছবিটি মুক্তি দেয়া সম্ভব হয়নি। এবার মুক্তি দেবো। কারণ যে সপ্তাহ বচ্চন মুক্তি পাবে সে সপ্তাহে দেশি কোন ছবি নেই। হল খালি যাবে। তাই বচ্চন মুক্তি দিচ্ছি।’‘বচ্চন’ পরিচালনা করেছেন কলকাতার পরিচালক রাজা চন্দ। জিৎ ছাড়াও এতে অভিনয় করেছেন ঐন্দ্রিতা রায়, পায়েল সরকার, মুকুল দেব, আশীষ বিদ্যার্থী, খরাজ মুখার্জী, কাঞ্চন। ২০১১ সালে মু্ক্তি পাওয়া কন্নড় চলচ্চিত্র বিষ্ণুবর্ধনের অফিসিয়াল রিমেক হচ্ছে ‘বচ্চন’। জিতের প্রযোজনা সংস্থা গ্রাসরুট এন্টারটেইনমেন্টের ব্যানারে নির্মিত হয় ছবিটি।
বচ্চন, জিৎ, কলকাতার ছবি
পাকিস্তানের টি-২০ দলে আকমল-শেহজাদ
প্রকাশ: ০২ অক্টোবর ২০১৯ | ০৫:১১
পাকিস্তানের নতুন কোচ এবং প্রধান নির্বাচক হয়ে ঘরের মাঠে শ্রীলংকার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে খুব একটা চমক দেননি মিসবাহ উল হক। ইনজুরির কারণে ক'জন দলে ছিলেন না। বাদ পড়েছিলেন কেবল মোহাম্মদ হাফিজ। তবে টি-২০ দলে বেশ ভালোই চমক দিলেন মিসবাহ। উইকেটরক্ষক উমর আকমল এবং ওপেনার আহমেদ শেহজাদকে আবার টি-২০ দলে ডেকেছেন তিনি। বাদ পড়েছেন ইমাম উল হক।বুধবার মিসবাহ উল হক শ্রীলংকার বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজের জন্য ১৬ সদস্যের দল ঘোষণা করেছেন। ওই দলে আছেন ফাহিম আশরাফও। তাদের তিনজনকে দলে জায়গা করে দিতে ইমাম উল ছাড়াও বাদ পড়েছেন মোহাম্মদ রিজওয়ান এবং আবিদ আলী। ইমাম উল অবশ্য ফর্মের কারণে বাদ পড়েননি। ইনজুরিতে আছেন তিনি। শ্রীলংকার বিপক্ষে সিরিজের শেষ ওয়ানডে ম্যাচেও খেলতে পারবেন না তিনি।আহমেদ শেহজাদ গত বছর স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে জাতীয় দলের হয়ে শেষ ম্যাচ খেলেছেন। পরে ওই সিরিজ থেকে বাদও পড়ে যান তিনি। তবে সর্বশেষ পিএসএলে ৫১ গড়ে তিনি ৩১১ রান করেছেন। সেটাই তাকে দলে জায়গা এনে দিয়েছে। তবে উমর আকমাল ২০১৬ সালের পর পাকিস্তানের হয়ে টি-২০ ম্যাচ খেলেননি। বিশ্বকাপের আগে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজে থাকলেও শেষ পর্যন্ত বাদ পড়ে যান তিনি।পাকিস্তান দল: সরফরাজ আহমেদ (অধিনায়ক), বাবর আযম (সহ-অধিনায়ক), আহমেদ শেহজাদ, আসিফ আলী, ফাহিম আশরাফ, ফখর জামান, হারিস সোহেল, ইফতেখার আহমেদ, ইমাদ ওয়াসিম, মোহাম্মদ আমির, মোহাম্মদ হাসনাইন, মোহাম্মদ নওয়াজ, শাদাব খান, উমর আকমল, উসমান সেনওয়ারি, ওয়াহাব রিয়াজ।
খেলা, ক্রিকেট, পাকিস্তান, টি-২০, শেহজাদ-আকমল
চাকরিতে ঢোকার বয়স ৩৫ না করলে গণঅনশন
প্রকাশ: ০২ অক্টোবর ২০১৯ | ০৫:১৬
আগামী ২০ অক্টোবরের মধ্যে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫সহ চার দফা দাবি মেনে নেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানিয়েছে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্রকল্যাণ পরিষদ। এই সময়ের মধ্যে দাবি না মানলে আগামী ২৫ অক্টোবর শাহবাগে মহাসমাবেশ এবং ২৬ অক্টোবর থেকে গণঅনশনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। বুধবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই হুঁশিয়ারি দেন সংগঠনটির নেতাকর্মীরা।তাদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- চাকরিতে আবেদন ফি কমিয়ে ৫০ থেকে ১০০ টাকার মধ্যে নির্ধারণ করা, নিয়োগ পরীক্ষাগুলো জেলা বা বিভাগীয় পর্যায়ে নেওয়া এবং তিন থেকে ছয় মাসের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্নসহ সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করা।সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনটির প্রধান সমন্বয়ক মুজাম্মেল মিয়াজী। এতে তিনি চাকরিতে আবেদনের বয়স ৩৫ করার পক্ষে বিভিন্ন যুক্তি তুলে ধরে বলেন, চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩০ বছর থেকে বাড়িয়ে ৩৫ বছরে উন্নীত করা এখন সময়ের সেরা যৌক্তিক দাবি। ডিজিটাল বাংলাদেশের এই বৃহৎ শিক্ষার্থী ও যুব সমাজের কথা বিবেচনা করে তাদের চার দফা দাবি মেনে নিতে বিলম্ব করা মোটেও উচিত নয়। আগামী ২০ অক্টোবরের মধ্যে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫সহ চার দফা দাবি মেনে নেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানিয়ে মুজাম্মেল মিয়াজী বলেন, এই সময়ের মধ্যে দাবি মেনে না নিলে আগামী ২৫ অক্টোবর শাহবাগে মহাসমাবেশ এবং ২৬ অক্টোবর থেকে গণঅনশন করা হবে।সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- সংগঠনের প্রধান সমন্বয়ক সুরাইয়া ইয়াসমিন, কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক রেইমা রাহি, ইবনে তানজির, এস এ সজীব আহমেদ, আব্দুস সালাম, ফেরদৌস জিন্নাহ লেলিন, কুমারী মৌসুমী প্রমুখ।
বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্রকল্যাণ পরিষদ, চাকরিতে ঢোকার বয়স, ঢাবি
কিশোরগঞ্জের মিঠামইনে এবারের 'ইত্যাদি'
প্রকাশ: ০২ অক্টোবর ২০১৯ | ০৫:২১ | আপডেট: ০২ অক্টোবর ২০১৯ | ০৫:২৫
জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান 'ইত্যাদি' এবার ধারণ করা হলো কিশোরগঞ্জের মিঠামইনে। বেশ কয়েক বছর ধরে আমাদের ঐতিহাসিক, প্রাচীন প্রত্নতাত্ত্বিক ও নৃতাত্ত্বিক বৈচিত্র্য এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা স্থানগুলোয় গিয়ে অনুষ্ঠানটি নির্মাণ করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় এবারের পর্বের জন্য কিশোরগঞ্জের হাওরের মাঝখানে দ্বীপের মতো ভেসে থাকা মিঠামইনের হামিদ পল্লীকে নির্বাচন করা হয়েছে বলে অনুষ্ঠান আয়োজকরা জানান।তারা আরও জানান, অনুষ্ঠানের দৃশ্যধারণের দিন সকাল থেকেই কিশোরগঞ্জ শহর, করিমগঞ্জ, ইটনা, অষ্টগ্রাম, ভৈরব, নিকলী, কটিয়াদী, হোসেনপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ বিভিন্ন স্থান থেকে শত শত নৌকা-ট্রলারে করে হাজার হাজার মানুষ এসেছিল হামিদ পল্লীতে। হাওরের মাঝখানের এই দ্বীপটি পরিণত হয়েছিল জনসমুদ্রে। এত দুর্গম অঞ্চলে অনুষ্ঠান হওয়া সত্ত্বেও অনুষ্ঠানস্থলে প্রায় লক্ষাধিক দর্শক সমাগম হয়েছিল। সেসব দর্শকের উপস্থিতিতে নান্দনিক বিষয়বস্তু তুলে ধরার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানটি ক্যামেরাবন্দি করা হয়।এ পর্বে থাকছে কিশোরগঞ্জের ইতিহাস, ঐতিহ্য, প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমণ্ডিত-দর্শনীয় ও পর্যটকদের জন্য আকর্ষণীয় স্থান এবং কীর্তিমান ব্যক্তিদের ওপর তথ্যভিত্তিক প্রতিবেদন। পাশাপাশি অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর থানার একটি গ্রামের অবিশ্বাস্য অবস্থানে অবস্থিত একটি স্কুলের আদ্যোপ্রান্ত। বিদেশি প্রতিবেদনে রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার ওপর একটি তথ্যবহুল প্রতিবেদন।এ ছাড়া থাকছে কুমার বিশ্বজিতের গাওয়া একটি দেশাত্মবোধক গান। পাশাপাশি কিশোরগঞ্জের কৃষ্টিকথা ও বীরগাথা নিয়ে মোহাম্মদ রফিকউজ্জামানের কথায়, হানিফ সংকেতের সুর ও মেহেদীর সঙ্গীতায়োজনে আরেকটি গানের সঙ্গে নৃত্য পরিবেশন করেছেন দেশবরেণ্য নৃত্যশিল্পী শামীম আরা নিপা। তার সঙ্গে নৃত্যে অংশগ্রহণ করেছেন কিশোরগঞ্জ, করিমগঞ্জ ও মিঠামইনের শতাধিক নৃত্যশিল্পী। নাচটিতে লাঠিখেলা দেখিয়েছে ওসমান গণির নেতৃত্বে বোয়াই জমিদার বাড়ির ঐতিহ্যবাহী লাঠিয়াল দল। নাচের গানে কণ্ঠ দিয়েছেন প্রতিক হাসান ও তানজিনা রুমা। গান ছাড়াও দর্শকদের সঙ্গে আঞ্চলিক ভাষার নাট্যাংশে অংশ নিয়েছেন অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন। এ ছাড়া নিয়মিত পর্বসহ থাকছে সমসাময়িক বিভিন্ন ঘটনা নিয়ে বেশ কিছু সরস নাট্যাংশ। এতে অভিনয় করেছেন- সোলায়মান খোকা, জিয়াউল হাসান কিসলু, কেএস ফিরোজ, শবনম পারভীন, আবদুল কাদের, আফজাল শরীফ, সুভাশিষ ভৌমিক, কামাল বায়েজিদ, বিলু বড়ূয়া, তারিক স্বপন, মনজুর আলম, কাজী আসাদ, শাহানা নিসা প্রমুখ। অনুষ্ঠানের রচনা, পরিচালনা ও উপস্থাপনা করেছেন হানিফ সংকেত। ৪ অক্টোবর রাত ৮ টার বাংলা সংবাদের পর বিটিভি ও বিটিভি ওয়ার্ল্ডে 'ইত্যাদি' প্রচার হবে।
ইত্যাদি, হানিফ সংকেত, বিনোদন
এক বিয়ের পোশাকেই সারা বছর!
প্রকাশ: ০২ অক্টোবর ২০১৯ | ০৫:২২
জিম, শপিংমল, মাছ শিকার কিংবা ফুটবল খেলতে যাওয়ার সময় যখনই বলেন না কেন; একই পোশাক পরতে দেখা যায় তাকে! পোশাকটা যে খুব সাধারণ সেরকম কিছুও নয়। বিয়ের জন্য কেনা ছিল এটি।অথচ এই দামী পোশাকটাই কিনা সর্বত্র ব্যবহার করে যাচ্ছেন অস্ট্রেলিয়ার পরিবেশবিদ তাম্মি হাল। এর পেছনে বেশ একটা কারণ ব্যাখা করেছেন তিনি। এনডিটিভি বলছে, বিয়ের আগে ২০১৬ সালে ভারতে ঘুরতে এসেছিলেন তাম্মি। সেখান থেকে ফিরে গিয়ে মানসিকতার পরিবর্তন হয় তার। ভোগবাদ নিয়ে বেশ চিন্তা ঢোকে মাথায়। এরপরই তার মধ্যে আসে বড় এক পরিবতর্ন। ভারত থেকে ফেরার পর ২০১৮ সালে ৫ অক্টোবর ১০ বছরের প্রেমিক কারিনকে বিয়ে করেন তাম্মি। বিয়ের অনুষ্ঠান নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে থাকলেও মোটামুটি খরচ করেই অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে হয় তাদের। বিয়েতে ৯৮৫ পাউন্ডের একটি পোশাক কিনেছিলেন তাম্মি। বাংলাদেশি টাকায় যার বিনিময় মূল্য এক লাখের বেশি টাকা। ওই পোশাকটি কেনার পরই তা সারা বছর ধরে ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেন তিনি। শুধু বিয়ের দিন নয় তাম্মি সিদ্ধান্ত নেন বিয়ের ওই দামী পোশাকটি তিনি সব জায়গাতেই পরে থাকবেন। যেন ২৪ ঘণ্টাই বিয়ের পোশাকটি পরে ঘুরবেন ৪৩ বছর বয়সী এই পরিবেশবিদ। যে কথা সেই কাজ। জিম, খেলাধুলায় অংশগ্রহণ, শপিং করা কিংবা প্রয়োজনীয় যে কোনও জায়গাতেই এখন ওই পোশাক পরে যাচ্ছেন তিনি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এসবের ছবিও এসেছে। ডেইলি সানকে তাম্মি বলেন, বিয়ের বছর দুয়েক আগে ভারতে ঘুরতে গিয়ে বাস্তবতা দেখে এসে আমার মধ্যে পরিবর্তন ঘটে। এরপরই আমি সিদ্ধান্ত নিই; বিয়েতে এত দাম দিয়ে যে পোশাক পরব তা সারা বছরই ব্যবহার করব। কে কি বলল তা নিয়ে ভাবেন না বলেও জানিয়েছেন এই নারী। তিনি বলেন, হৃদয় যা বলে তাই করি।
অস্ট্রেলিয়া
ফরিদপুরে অস্ত্র-গুলি-ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার
প্রকাশ: ০২ অক্টোবর ২০১৯ | ০৫:৩৬
ফরিদপুর শহরের বাইপাস রোড থেকে একটি ওয়ান শুটারগান, চার রাউন্ড কার্তুজ এবং  ২০৫ পিস ইয়াবাসহ শাহারিয়ার হোসেন শান্ত (২২) নামের এক তরুণকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। শান্ত স্থানীয় গোয়ালচামট ১নংসড়কের শাহাদাৎ হোসেনের ছেলে।   র‌্যাব সূত্র জানায়, শান্ত পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী। তার বিরুদ্ধে ফরিদপুর কোতয়ালী থানায় মাদক, অস্ত্র, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপরাধে ৯টি মামলা রয়েছে।র‌্যাব-৮ ফরিদপুর ক্যাম্পের অধিনায়ক মেজর শেখ নাজমুল আরেফিন পরাগ জানান, মঙ্গলবার রাতে ফরিদপুর বাইপাস সড়কের নির্মানাধীন টেক্সটাইল কলেজের সামনে এক মাদক ব্যাসায়ী ইয়াবা ট্যাবলেটের একটি চালান অন্য এক মাদক ব্যবসায়ীর কাছে হস্তান্ত করবে বলে খবর পায় র‌্যাব-৮। এ সময় ফরিদপুর র‌্যাব ক্যাম্পের একটি  দল সেখানে অভিযান চালিয়ে শাহারিয়ার হোসেন শান্তকে আটক করে। এ সময় তার কাছ থেকে একটি ওয়ান শুটারগান, চার রাউন্ড কার্তুজ ও  ২০৫ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। শান্তকে ফরিদপুর কোতয়ালী থানায় হস্তান্ত করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ওই থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ও অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। 
মাদক ব্যবসায়ী, গ্রেফতার, ফরিদপুর
জাতীয় স্বার্থে দক্ষতার সঙ্গে কাজ করতে নৌবাহিনীর প্রতি আহ্বান রাষ্ট্রপতির
প্রকাশ: ০২ অক্টোবর ২০১৯ | ০৫:৪০
জাতীয় স্বার্থে সমুদ্রসীমার সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অধিকতর দক্ষতার সঙ্গে কাজ করতে নৌবাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।বুধবার বিএনএস তিতুমীর ঘাঁটিকে ন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড (জাতীয় পতাকা) প্রদান উপলক্ষে এই ঘাঁটির প্যারেড মাঠে আয়োজিত অনুষ্ঠানে দেওয়া ভাষণে তিনি এ আহ্বান জানান। খবর বাসসেররাষ্ট্রপতি বলেন, 'মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অনুপ্রাণিত হয়ে এবং জেটি, যুদ্ধজাহাজ ও সমরাস্ত্র ব্যবহার করে আপনাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব নির্বিঘ্নে ও সফলতার সাথে পালন করুন।'তিনি দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি ব্লু-ইকোনমির সু-সম্ভাবনা নিশ্চিত করতে নৌবাহিনী সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানান।রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন, পরবর্তী প্রজন্মের নৌবাহিনী সদস্যরা দেশপ্রেমের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। তরুণ প্রজন্ম জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় অবদান রাখবে।সমুদ্রে নৌবাহিনীর দুঃসাহসিক কাজের প্রশংসা করে তিনি বলেন, 'আপনাদের মূল কর্মক্ষেত্র উত্তাল সাগরে কঠোর পরিশ্রম ও দায়িত্বশীলতার মাধ্যমে আপনারা উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন।'রাষ্ট্রপতি ও সশস্ত্র বাহিনীসমূহের প্রধান (কমান্ডার-ইন-চিফ) আবদুল হামিদ বিশ্বব্যাপী দেশের ভাবমূর্তি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে তাদের সর্বাত্মক প্রয়াস অব্যাহত রাখতে নৌবাহিনীর সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানান।বিএনএস তিতুমীর ঘাঁটিকে ন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড (জাতীয় পতাকা) প্রদান উপলক্ষে কেক কাটেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ— পিআইডিতিনি বলেন, বাংলাদেশের রয়েছে ৭১০ কিলোমিটার উপকূলবর্তী অঞ্চল। এই বিশাল এলাকার প্রায় ৩ কোটি মানুষের জীবন-জীবিকা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সমুদ্র সম্পদের ওপর নির্ভরশীল। এছাড়া বহির্বিশ্বের সঙ্গে বাণিজ্যের ৯০ শতাংশ এই সমুদ্রপথে সম্পন্ন হয়।রাষ্ট্রপতি ইতিমধ্যে সামুদ্রিক জলসীমায় টহল ও নজরদারি বাড়াতে সরকার আরও দু’টি সামুদ্রিক পেট্রোল বিমান কিনছে বলে উল্লেখ করেন।তিনি বলেন, 'অবকাঠামো উন্নয়ন নিশ্চিত করতে বিমান চলাচল সুবিধাসহ পটুয়াখালীর দেশের বৃহত্তম শেরেবাংলা বিমানঘাঁটির নির্মাণ কাজ চলছে।'বক্তব্যের শুরুতে রাষ্ট্রপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু এবং ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে জীবনদানকারী মুক্তিযোদ্ধা, বিশেষ করে বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিনসহ নৌবাহিনীর শহীদ সদস্যদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এসময় তিনি বাংলাদেশ নৌবাহিনীর বিএনএস তিতুমীর ঘাঁটিকে ন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড সার্টিফিকেট (জাতীয় পতাকা) হস্তান্তর করেন।বিএনএস তিতুমীর বাংলাদেশ নৌবাহিনীর একটি নৌঘাঁটি। ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পর এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৮৩১ সালে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে শহীদ সৈয়দ মীর নিছার আলী তিতুমীরের নামানুসারে এর নামকরণ করা হয়। তিতুমীর মূলত সরবরাহ শাখার কর্মকর্তা ও নাবিকদের কর্মজীবনে বিভিন্ন স্তরে পেশাগত প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে। বাংলাদেশ নৌবাহিনীর অন্যতম বৃহত্তম এই তিতুমীর ঘাঁটিতে প্রায় ২ হাজার ৫০০ সদস্য কর্মরত।খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, বন ও পরিবেশ উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার (এমপি), নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল আওরঙ্গজেব চৌধুরী, শেখ সালাহউদ্দীন জুয়েল (এমপি), ঊর্ধ্বতন বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
রাষ্ট্রপতি, আবদুল হামিদ, নৌবাহিনী, বিএনএস তিতুমীর
সরকার এখন সুর বদলেছে: রিজভী
প্রকাশ: ০২ অক্টোবর ২০১৯ | ০৫:৪৬
ক্যাসিনো কাণ্ডে অভিযান চালিয়ে নিজেদের নেতাকর্মীদের না ধরতে পেরে সরকার এখন সুর বদলেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।বুধবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।যুবলীগ নেতা ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের গ্রেফতার না হওয়ার বিষয়ে রিজভী বলেন,ক্যাসিনো, টেন্ডারবাজি ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে সরকার তথাকথিত অভিযানচালাচ্ছে। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি গ্রেফতার করা হবে কি না, তানিয়ে দোটানায় রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তিনি বলেন, ক্যাসিনো সম্রাটসুবিধাভোগীদের তালিকায় মন্ত্রী, সাংসদ, রাজনীতিবিদ, সাংবাদিকসহগুরুত্বপূর্ণ অনেক ব্যক্তিই আছেন। সরকার কথিত অভিযানের নামে মাঠে নেমে এখননা পারছে উঠে আসতে না পারছে রাঘব বোয়াল ধরতে। এখন বিএনপি ও তারেক রহমানেরঘাড়ে দোষ চাপিয়ে জনগণের দৃষ্টি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার গভীর ষড়যন্ত্রেলিপ্ত হয়েছে। এখন তাদের সুর বদলে গেছে।রিজভী বলেন, বড় দুর্নীতিবাজরাধরা না পড়ায় চলমান শুদ্ধি অভিযান বড় কোনও অপকর্মের পূর্বাভাস।দুর্নীতিধর্মী রাজনীতির পৃষ্ঠপোষক আওয়ামী লীগ। বিএনপির এই নেতা বলেন, চলমান সন্দেহজনক অভিযানে আটক আওয়ামী যুবলীগ ও ছাত্রলীগের চুনোপুঁটিদের সঙ্গে বিএনপির নাম জড়াতেসরকার জনগণের কোনও সাড়া পাচ্ছে না। এই অভিযান প্রতিহিংসা, ঈর্ষা, চাঁদাবাজি ওস্বজনপোষণের রাজনীতির জটিল সমীকরণের বহিঃপ্রকাশ বলে অনেকে মনে করেন।তিনি বলেন, ক্ষমতাসীনদের ঘরে ঘরে এখন টাকা গোনার মেশিন, সিন্দুক-ভল্ট ভরালুটপাটের অর্থ। বিদেশে লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা পাচার করে দেশকে ফোকলা করেদিয়েছে। বেগম পল্লী, সুইস ব্যাংক, সেকেন্ড হোম এখন তাদের সব রয়েছে।দুর্নীতিকে রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ করা হয়েছে। রিজভী বলেন, খোদ রাজধানীতে গত১৩ বছর ধরে ডজন ডজন ক্যাসিনো গড়েছে যুবলীগ ও তাদের গডফাদাররা, এই সরকারেরআশ্রয়ে-প্রশ্রয়ে দুর্বৃত্তরা টাকার কুমির হয়েছে। আওয়ামীলীগ-যুবলীগ-ছাত্রলীগের চাঁদাবাজি ও দুর্নীতির বৃত্তান্ত শুনে দেশবাসীবিস্ময়ে হতবাক হয়েছে। কারণ শর্ষের মধ্যেই ভূত রয়েছে।একটি জাতীয় দৈনিকসহ কিছু সংবাদপত্রে ক্যাসিনোর সঙ্গে দলের ভারপ্রাপ্তচেয়ারম্যান তারেক রহমানকে জড়িয়ে প্রকাশিত সংবাদকে 'নির্জলা মিথ্যাচার ওকুৎসিত অপপ্রচার' বলে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান রিজভী।সংবাদ সম্মেলনে দলের বিএনপি চেয়াপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক, যুগ্মমহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, আবদুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী, শফিউল বারী বাবু,মোশতাক মিয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
রুহুল কবির রিজভী, বিএনপি
জি কে শামীম আবার রিমান্ডে
প্রকাশ: ০২ অক্টোবর ২০১৯ | ০৬:০৪ | আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০১৯ | ০৮:৩৪
অস্ত্র ও অর্থপাচার মামলায় বিতর্কিত ঠিকাদার ও যুবলীগ নেতা গোলাম কিবরিয়া(জি কে) শামীমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবারও রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। পুলিশের করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতের বিচারকমোহাম্মদ জসিম বুধবার তার বিরুদ্ধে ৯ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। অস্ত্র ও মাদক আইনের দুই মামলায় ১০ দিনের রিমান্ড শেষে জিকে শামীমকে আদালতে হাজির করা হয়। অস্ত্র মামলায় আবার ৭ দিন এবং অর্থপাচার মামলায়১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। আদালত শুনানি শেষে অস্ত্র মামলায় চারদিনও অর্থপাচার মামলায় পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। আদালতে তার পক্ষেছিলেন আবদুর রহমান হাওলাদার ও আসাদুজ্জামান কচি। গত ২০ সেপ্টেম্বর রাজধানীর নিকেতনের বাসা থেকে যুবলীগের এইনেতাকে আটক করা হয়। এরপর নিকেতনে তার জি কে বিল্ডার্স অফিসে অভিযান চালিয়ে ১৬৫ কোটি টাকার স্থায়ী আমানতের (এফডিআর) কাগজ ও নগদ ১ কোটি৮০ লাখ টাকা জব্দ করে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। এছাড়া তারজিম্মা থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র, দেহরক্ষীদের সাতটি শটগান-গুলি এবং কয়েক বোতলবিদেশি মদ জব্দ করা হয়। আটকের পরদিন শামীম ও তার দেহরক্ষীদের গুলশান থানায় হস্তান্তর করে তাদের বিরুদ্ধেঅস্ত্র, মাদক ও মানি লন্ডারিং আইনে তিনটি মামলা  করে র‌্যাব। ওইদিনইশামীমকে আদালতে হাজির করে অস্ত্র ও মাদক মামলায় ১৪ দিনের রিমান্ড আবেদনকরলে আদালত ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।
জিকে শামীম, ক্যাসিনো
আমিশার ওপর রেগে গেলেন দর্শকরা
প্রকাশ: ০২ অক্টোবর ২০১৯ | ০৬:১১ | আপডেট: ০২ অক্টোবর ২০১৯ | ০৬:৪৫
‘কহো না পেয়ার হ্যায়’ ছবি দিয়ে দুর্দান্ত অভিষেক হলেও পরবর্তী সময়ে বলিউডে শক্ত আসন গাড়তে পারেননি আমিশা প্যাটেল। এমনিতেই বলিউডে ডুবন্ত ক্যারিয়ার নিয়ে হতাশ এ অভিনেত্রী। এমন সময়ে যখন তার সামনে ‘বিগ বস ১৩’  সিজনে কাজের জন্য প্রস্তাব পান তখন নিজেকে একটু স্বস্তিবোধ করেন। কিন্তু এখানে এসে যে বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে তা হয়তো কল্পনাই করতে পারেন নি আমিশা।এই সময়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রিয়্যালিটি শো ‘বিগ বস ১৩’ সিজনে যুক্ত হয়েছেন ৪৩ বছর বয়সী অভিনেত্রী আমিশা প্যাটেল। আর ত্রয়োদশ আসরেও সঞ্চালক হিসেবে থাকছেন সালমান খান। ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে বিগ বসের বাড়িতে পা রেখেছেন তারকারা। এই রিয়্যালিটি শো-তে বড় মালকিন হিসেবে যোগ দিয়েছেন আমিশা। তার কাজ হচ্ছে, বিগ বসের বাড়িতে আসা প্রতিযোগীদের নজরে রাখা, নিয়ন্ত্রণে রাখা।কিন্তু এর মধ্যেই হঠাৎই আমিশার উপর চরম ক্ষিপ্ত হয়ে পরেছেন দর্শকরা! যার প্রমাণ পাওয়া গেলো নেট দুনিয়ায়। ইতোমধ্যে তাকে ঘিরে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। নানা রকমের মিম বানিয়ে শেয়ার করছে দর্শকরা। যদিও আমিশা এসব সমালোচনার বিপরীতে কোনো প্রতিক্রিয়া জানাননি। আমিশা প্যাটেল অভিনীত সর্বশেষ সিনেমা মুক্তি পেয়েছে গত বছর। সিনেমাটির নাম ‘ভাইয়াজি সুপারহিট’। এতে তিনি অভিনয় করেছিলেন সানি দেওলের সঙ্গে।
আমিশা প্যাটেল, বিনোদন
শাহ আমানতে সুইপারের জুতায় মিললো ৩৬ স্বর্ণবার
প্রকাশ: ০২ অক্টোবর ২০১৯ | ০৬:৩৩
চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরের মো. ইলিয়াস নামের এক সুইপারের জুতার ভেতরে ৩৬টি স্বর্ণবার পাওয়া গেছে। যার আনুমানিক মূল্য ২ কোটি টাকা। বুধবার সকাল ১১টায় ফ্লাই দুবাইয়ের 'এফজেড ৫৮৯' ফ্লাইটের পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম শেষ করে বের হওয়ার সময় তার শরীর তল্লাশি করা হয়। এ সময় তার জুতার মধ্যে লুকানো স্বর্ণবারগুলোর সন্ধান পান শুল্ক ও গোয়েন্দা বিভাগের কর্মকর্তারা। এরপর তাকে আটক করা হয়েছে।চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের ডেপুটি কমিশনার মো. রিয়াদুল ইসলাম বলেন, সকাল ১১টার দিকে দুবাই থেকে আসা ফ্লাই দুবাইয়ের ওই ফ্লাইটটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ করেন মো. ইলিয়াস। কাজ শেষে করে বের হওয়ার সময় তার শরীর তল্লাশি করা হয়। এ সময় তার জুতা ও মোজারে ভেতরে প্রায় সোয়া ৪ কেজি ওজনের ৩৬টি স্বর্ণের বার পাওয়া যায়। ওই সুইপারকে অটক ও তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
স্বর্ণবার, শাহ আমানত, চট্টগ্রাম
'পেঁয়াজ আমদানিতে ভারত-নির্ভরতার বিকল্প চিন্তা করতে হবে'
প্রকাশ: ০২ অক্টোবর ২০১৯ | ০৬:৩৭ | আপডেট: ০২ অক্টোবর ২০১৯ | ০৬:৪২
বেশ কিছুদিন ধরে পেঁয়াজের বাজার অস্থির হয়ে আছে। ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করার পর এই অস্থিরতা আরও বেড়েছে। গত কয়েকদিনে অন্যান্য দেশ থেকে আমদানি করার পরও পেঁয়াজের দাম কমেনি। বাজার অস্থিরতা, পেঁয়াজের আমদানি নির্ভরতা নিয়ে সমকাল অনলাইনের সঙ্গে কথা বলেছেন পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর।বাজার ওইভাবে তৈরি ছিল না। এ কারণে ভারত রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়ার পরই প্রভাব পড়েছে পেঁয়াজের দামের ওপর। এটা নিয়ে কাউকে দোষ দেওয়া যায় না। ভারতে এবার প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে পেঁয়াজ উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। এটা হতেই পারে। সেটা নিয়ে তারা আগাম সতর্ক বার্তা দিয়েছিল। আমাদের এখানে সে ব্যবস্থা নেই। ভারতের ওপর আমদানি নির্ভরতার বিকল্প চিন্তা ছিল না আমাদের। সে কারণে এখানকার বাজারে তার প্রভাব পড়েছে।অনেক পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে, কিন্তু সেগুলো আসলে কী দামে আমদানি করা হচ্ছে সেটা আমাদের জানা নেই। ভারতে পেঁয়াজের দাম কত, পরিবহন খরচ কত পড়ে, সেটা অনেকের কাছেই স্পষ্ট। কিন্তু অন্য দেশ থেকে আনা পেঁয়াজের দাম কত পড়ছে সেটা নির্ভর করছে আমদানি খরচের ওপর।পেঁয়াজ মৌসুমি পণ্য। মৌসুমে কী পরিমাণ পেঁয়াজ উৎপাদন হচ্ছে, কত আমদানি করা হচ্ছে– তা নিয়ে হয়তো এক বছর একটা হিসাব করা হয়। সে ধারণাই বছরের পর চলতে থাকে। হয়তো দেশেও এ বছর প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে পেঁয়াজ উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। কিন্তু এর তথ্য নেই। সরকারের পক্ষ থেকে সবসময়ই ইতিবাচক কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু প্রকৃত পরিস্থিতি নির্ভর করে চাহিদা অনুযায়ী বাজারে সরবরাহ কী পরিমাণ আছে সেটার ওপর।টিসিবি কম দামে পেঁয়াজ বিক্রি করছে। কিন্তু সেটা কতজনের চাহিদা পূরণ করতে পারবে? দেশে যদি বাজার মনিটরিং পদ্ধতি সক্রিয় থাকতো তাহলে ব্যবসায়ী, ভোক্তা সবাই সতর্ক থাকতো। কিন্তু দেশে এরকম কোনো প্রতিষ্ঠান নেই। রাতারাতি হয়তো পেঁয়াজের দাম কমবে না। কিন্তু এ অবস্থা বেশিদিন থাকতে পারে না। সেক্ষেত্রে আমার পরামর্শ হলো কম করে পেঁয়াজ খাওয়া।বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকার বাজার ব্যবস্থা উদার করতে পারে। সেক্ষেত্রে সরকারের উচিত আগামী এক মাস পেঁয়াজ আমদানির ওপর থেকে সব ধরনের ট্যাক্স উঠিয়ে দেওয়া। সেই সঙ্গে আমদানির ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেওয়া।ভারতের সবচেয়ে নিকটতম প্রতিবেশী বাংলাদেশ। ভারত থেকে প্রচুর জিনিস আমদানি করে বাংলাদেশ। অন্য সব দেশের চেয়ে সব ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে যাতে বিশেষ সুবিধা দেওয়া হয়, সঙ্গত কারণে এমন প্রস্তাব ভারত সরকারের কাছে বাংলাদেশ সরকার করতেই পারে।
পেঁয়াজ, পেঁয়াজ আমদানি, পেঁয়াজের বাজার, পেঁয়াজের দাম, আহসান এইচ মনসুর
ক্লাবগুলো ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকা উচিত: যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী
প্রকাশ: ০২ অক্টোবর ২০১৯ | ০৬:৪৮
মতিঝিলপাড়ার ১২টি ক্লাবের মধ্যে আটটিতেই ছিল অবৈধ ক্যাসিনো। সম্প্রতি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে ঐতিহ্যবাহী মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব থেকেও উদ্ধার করা হয় জুয়া খেলার সামগ্রী। বিভিন্ন ক্লাবে ক্যাসিনো পাওয়ায় ক্রীড়াঙ্গনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে। ক্রীড়াঙ্গনের অভিভাবক সংস্থা হওয়া সত্ত্বেও এ ব্যাপারে কিছু করতে পারছে না জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি)। শুধু বিভিন্ন ফেডারেশনকে অনুমোদন দেওয়া এবং অ্যাসোসিয়েশনগুলোর সমস্যা নিয়ে কাজ করার এখতিয়ার আছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের। ক্লাবগুলো বাণিজ্য ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকায় কিছু করার থাকে না যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়েরও। ক্যাসিনো ব্যবসার অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ায় ক্লাবগুলোকে জবাবদিহির আওতায় আনতে চায় ক্রীড়া মন্ত্রণালয়।ক্রীড়া ক্লাবগুলো সংশ্নিষ্ট মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকা উচিত বলে মনে করেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল এমপি। মঙ্গলবার সচিবালয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীতে ক্রীড়া আয়োজন নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে যুব ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেন, 'ক্যাসিনোর ঘটনায় ক্রীড়াঙ্গনের সুনাম ও ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে। কিন্তু এগুলো বাণিজ্য ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকায় আমাদের কিছুই করার নেই। ক্লাবগুলো ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অধিভুক্ত নয় বলে তাদের ওপর নজরদারি-খবরদারির সুযোগ নেই। কিন্তু সময় এসেছে মন্ত্রণালয়ের অধিকার খাটানোর। আমরা তাদের দুর্নামের ভাগ নেব; কিন্তু জবাবদিহির মধ্যে আনতে পারব না, এটা হতে পারে না। ক্রীড়া ক্লাবগুলো যেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অধীনে হয়- এটা আমার পক্ষ থেকে অবশ্যই চেষ্টা করব।'ক্রীড়া ক্লাবগুলো বাণিজ্য ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধিভুক্ত হওয়ায় তাদের আয়-ব্যয়ের হিসাব তো দূরের কথা ক্রীড়া কার্যক্রমেও হস্তক্ষেপ করতে পারে না যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। 'এই ক্লাবগুলোর পরিচয় খেলাধুলাকে দিয়েই। এখানে স্পোর্টস জড়িত হলেও আমরা তাদের (ক্লাব) কাছে জবাবদিহি চাইতে পারব না- এটা হতে পারে না। আমরা মনে করি, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কিংবা সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়; যেই তাদের রেজিস্ট্রেশন দিক, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ও যেন তাদের দেখভাল করতে পারে, এমন একটা 'ক্লজ' (ধারা) আইনে যুক্ত করা উচিত'- বলেন জাহিদ আহসান রাসেল।এর আগে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী পালন উপলক্ষে বিভিন্ন ফেডারেশনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে পর্যালোচনা সভা করেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। সভায় বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে ৮৯টি ইভেন্ট আয়োজনের সিদ্ধান্ত হয়। এর মধ্যে ৩৯টি আন্তর্জাতিক, বাকিগুলো জাতীয়। এই ইভেন্টের জন্য বাজেট ধরা হয়েছে ৩০৬ কোটি টাকা, যা রাষ্ট্রীয় তহবিল এবং স্পন্সরদের কাছ থেকে নেওয়া হবে।
খেলা, ফুটবল, বাংলাদেশ, ক্যাসিনো
১৫ বছরে সমকাল । বিশেষ আলোচনা । নতুন দিন নতুন স্বপ্ন
প্রকাশ: ০২ অক্টোবর ২০১৯ | ০৬:৫০ | আপডেট: ১৯ ডিসেম্বর ২০২১ | ০৫:০৩
১৫ বছরে সমকাল
একি হাল বাহুবলীর রানা দাগ্গুবতির!
প্রকাশ: ০২ অক্টোবর ২০১৯ | ০৬:৫৭ | আপডেট: ০২ অক্টোবর ২০১৯ | ০৬:৫৯
বাহুবলি সিনেমায় 'বল্লালদেবা' চরিত্রে অভিনয় করে নিজেকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যান অভিনেতা রানা দাগ্গুবতি। এবার তার একটি ছবিকে ঘিরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তুমুল আলোড়ন সৃষ্টি  হয়েছে।সম্প্রতি তার ইনস্টাগ্রামে একটি ছবি পোস্ট করেন রানা নিজেই। কিন্তু এরপর থেকেই ভক্তরা এ অভিনেতার শারীরিক অবস্থা নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। অনেকেই  মন্তব্য করে বসেন, ‘আপনি কি ঠিক আছেন? অনেক চিকন দেখাচ্ছে।’ অন্য একজন লেখেন, ‘কী হয়েছে বল্লালদেব, অনেক চিকন দেখাচ্ছে?’হিন্দুস্তান টাইমসে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তার পরবর্তী সিনেমা বীরতাপর্বম ১৯৯২’র প্রয়োজনেই ওজন কমিয়েছেন রানা দাগ্গুবতী। গত জুন থেকে সিনেমাটির কাজ শুরু হয়েছে। এতে তার বিপরীতে অভিনয় করছেন সাই পল্লবী।এর আগে গত জুলাইয়েও ‘বল্লালদেব’ আর একটি ছবি পোস্ট করেছিলেন ইনস্টাগ্রামে। সেখানেও আগের তুলনায় অনেকটাই রোগা দেখাচ্ছিল তাকে। ফ্যানেরা প্রশ্ন তুলেছিলেন তার শারীরিক অবস্থা নিয়ে। রটেছিল তাকে নাকি কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্ট করতে হয়েছে। সেই গুজবকে উড়িয়ে  সংবাদমাধ্যমদের রানা জানান, তিনি ঠিক আছেন। কোনও রকম অস্ত্রোপ্রচার হয়নি তার।রান্না দাগ্গুবতির সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা নেনে রাজু নেনে মন্ত্রী। ২০১৭ সালে এটি মুক্তি পায়। মাঝে অবশ্য কয়েকটি সিনেমায় অতিথি চরিত্রে কাজ করেছেন। বর্তমানে একাধিক সিনেমার শুটিং নিয়ে ব্যস্ত তিনি। এর মধ্যে একটি হাতি মেরে সাথী। এছাড়া বলিউডের হাউসফুল ফোর ও ভূজ: দ্য প্রাইড অব ইন্ডিয়া সিনেমাতেও তাকে দেখা যাবে।
রানা দাগ্গুবতি, বাহুবলি তারকা
রেলওয়েতে 'শুদ্ধি অভিযান' চলমান আছে: মন্ত্রী
প্রকাশ: ০২ অক্টোবর ২০১৯ | ০৭:০৩
বাংলাদেশ রেলওয়েতেও 'শুদ্ধি অভিযান' চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছেন রেলপথমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন।জামালপুর যাওয়ার পথে বুধবার সকালে টাঙ্গাইল বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব রেল স্টেশনে যাত্রা বিরতিকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।রেলপথমন্ত্রী বলেন, 'দুর্নীতি এখন মুখরোচক শব্দ। সুনির্দিষ্ট না করে তা ঢালাওভাবে বলা ঠিক হবে না। তবে রেলের ব্যবস্থাপনার মধ্যে ঘাটতি রয়েছে এটা সত্য। আমরা চেষ্টা করছি ব্যবস্থাপনা ভালো করার। রেলখাতে যত বেশি তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারবো, ততবেশি উন্নয়ন ঘটবে। এতে করে রেল নিয়ে যে অভিযোগগুলো আছে সেগুলোর সমাধান হয়ে যাবে। আর দুর্নীতির বিরুদ্ধে রেলওয়েতে শুদ্ধি অভিযান চলমান আছে।'তিনি বলেন, আগামী বছরের জানুয়ারিতেই যমুনা নদীতে ডাবল লাইনের বঙ্গবন্ধু রেল সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হবে। এছাড়া সিঙ্গেল লাইন ডাবল করার প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে রেল সেক্টরে ব্যাপক উন্নয়ন ঘটবে।ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, 'দল যখন ক্ষমতায় আসে তখন যারা দল করে না তারাও দাবি করে– আমি দল করি। বিএনপির তারেক রহমান নির্বাচনী রিটার্ন দাখিলে তার উপার্জনের বিষয়ে ক্যাসিনো ব্যবসার কথা উল্লেখ করেছিলেন। বর্তমানে যারা ক্যাসিনো ব্যবসার জন্য ধরা পড়েছে তাদের পুরনো অতীত বিএনপির। ছাত্রদল, যুবদল, ফ্রিডম পার্টির। এমনকি রেলওয়ে শ্রমিকলীগেও অনেকে আছেন, যারা আগে বিএনপিতে ছিলেন। এখন তারা বড় আওয়ামী লীগার হয়ে গেছে। দলে প্রবেশ করে যারা অপর্কম করে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে, তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।'এ ছাড়াও তিনি রেলের দখলকৃত সম্পত্তি উদ্ধার করে রেলওয়ের উন্নয়নে তা বাণিজ্যিক ব্যবহারের চিন্তা ভাবনা চলছে। যাত্রা বিরতি শেষে ট্রেনে জামালপুরের উদ্দেশে রওনা হন তিনি। তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানসহ রেলের বিভিন্ন কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
রেলপথমন্ত্রী, নুরুল ইসলাম সুজন, শুদ্ধি অভিযান, রেলওয়েতে শুদ্ধি অভিযান, রেলের দুর্নীতি, দুর্নীতিবিরোধী অভিযান
শেখ হাসিনাকে ফোন করে খোঁজ নিলেন ইমরান খান
প্রকাশ: ০২ অক্টোবর ২০১৯ | ০৭:১০ | আপডেট: ০২ অক্টোবর ২০১৯ | ০৭:১৩
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফোন করে কুশল বিনিময় করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।বুধবার বিকেলে ফোন করেন ইমরান খান। এসময় সম্প্রতি লন্ডনে শেখ হাসিনার চোখের চিকিৎসা সম্পর্কে খোঁজ খবর নেন তিনি। খবর বাসসের প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বলেন, 'পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান আজ বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফোন করে কুশল বিনিময় করেন।’তিনি বলেন, পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী সম্প্রতি লন্ডনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর চোখের অস্ত্রোপচার সম্পর্কে খোঁজ খবর নেন।প্রধানমন্ত্রী তার চোখের অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাওয়ায় ইমরান খানকে ধন্যবাদ জানান।
প্রধানমন্ত্রী, শেখ হাসিনা, ইমরান খান, পাকিস্তান
প্রিয়াঙ্কাকে বাঁচাতে সাহায্য দরকার
প্রকাশ: ০২ অক্টোবর ২০১৯ | ০৭:১৪ | আপডেট: ০২ অক্টোবর ২০১৯ | ০৯:৩৩
লাইফ সাপোর্টে আছেন মডেল ও অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা জামান। তবে গত কয়েকদিনের চেয়ে অবস্থা ভালো বলে জানালেন তার বড় বোন লিজা জামান। সমকাল অনলাইনকে তিনি জানান, প্রিয়াঙ্কা কিছুটা নড়াচড়া করছে। তবে শ্বাস নিতে পারছেনা। কথাও বলতে পারছে না। কৃত্রিম উপায়ে অক্সিজেন দেওয়া হচ্ছে তাকে।চিকিৎসকের বরাত দিয়ে লিজা জামান জানান, শ্বাস নেয়ার প্রক্রিয়া স্বাভাবিক হতে আরও কিছুদিন লাগবে। তাই কিছুদিন তাকে লাইফ সাপোর্টেই রাখতে হবে। বুধবার নিজের ছোট বোনের কথা বলতে বলতে কেঁদে ফেলেন লিজা। বলেন, 'আমার বোনকে এভাবে দেখবো কখনও কল্পনাও করিনি। আমি তাকে ডাকছি সে সাড়া দিচ্ছে না। চোখও খুলছে না। আল্লাহ জানে এভাবে বোনটাকে আর কত দিন থাকতে হবে’প্রিয়াঙ্কা জামান ২০১৩ সালে বিটিভির চলচ্চিত্রের গান নিয়ে অনুষ্ঠান ‘ছায়াছন্দ’ উপস্থাপনার মধ্য দিয়ে মিডিয়ায় পা রাখেন। এরপর অনেক নাটকে অভিনয় করেন। বিভিন্ন পণ্যের বিজ্ঞাপনচিত্র ও জনপ্রিয় সংগীতশিল্পীদের গানের মিউজিক ভিডিওতে মডেল হয়েছেন। বুলবুল ললিতকলা একাডেমিতে নাচ শেখেন তিনি। বেশ কিছুদিন আগে তার রক্তে মারাত্মক সংক্রমণ দেখা দেয়। গত ২৬ সেপ্টেম্বর তাকে  রাজধানীর ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরিস্থিতির দ্রুত অবনতি হলে তাকে স্কয়ার হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি করা হয় প্রিয়াঙ্কাকে। চিকিৎসক জানিয়েছেন, প্রথম দিকে  প্রিয়াঙ্কার রক্তে যে সংক্রমণ ছিল, তা এখন অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আছে। কিন্তু নতুন করে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ায় বিষয়টা একটু জটিল হয়ে গেছে। হৃদ্‌যন্ত্র তুলনামূলক কম কাজ করছে। তবে শরীরের অন্যান্য অঙ্গ কাজ করছে। এদিকে চিকিৎসার খরচ জোগাতে হিমশিম খাচ্ছে প্রিয়াঙ্কা জামানের পরিবার। আরও বেশ কিছুদিন লাইফ সাপোর্টে রাখতে হবে বিধায় অনেক টাকার প্রয়োজন। তাই সবার কাছে আর্থিক সাহায্য চেয়েছে প্রিয়াঙ্কার পরিবার। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক স্ট্যাটাসে প্রিয়াঙ্কার বড় বোন লিজা বলেন, ‘ডাক্তার বলেছেন, ওকে আরও অনেক দিন লাইফ সাপোর্টে আইসিইউতে রাখতে হবে। আমরা দিনে দিনে অসহায় হয়ে পড়ছি। প্লিজ প্রিয়াঙ্কাকে বাঁচাতে একটু এগিয়ে আসুন সবাই, আমার বোনটাকে বাঁচান।’এই পরিস্থিতেও প্রিয়াঙ্কার ইমো নাম্বার হ্যাকড করা হয়েছে বলে জানান লিজা। তাই সাহায্যের বিষয়ে পিয়াঙ্কার বাবার দুটি নম্বর (০১৯১৭৮৯৪৭০৫ এবং ০১৭৪১২৩৫৩৩২) দিয়েছেন তিনি।  
প্রিয়াঙ্কা জামান, লাইফ সাপোর্ট, মডেল
স্ত্রীকে শ্বাসরোধ ও আগুনে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ, স্বামী পলাতক
প্রকাশ: ০২ অক্টোবর ২০১৯ | ০৭:৩৩ | আপডেট: ০২ অক্টোবর ২০১৯ | ০৭:৪৩
সাঘাটায় স্ত্রীকে শ্বাসরোধ ও আগুনে পুড়িয়ে হত্যার পর স্বামী পালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার সকালে গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার ভরতখালী ইউনিয়নের চিথুলিয়া গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় নিহত সেলিনা বেগমের বাবা মৌলত হোসেন খান সাঘাটা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।মামলা সূত্রে জানা যায়, বুধবার চিথুলিয়া গ্রামের দুই সন্তানের জননী সেলিনা বেগম ও তার স্বামী ময়নাল হোসেনের মধ্যে এনজিও’র কিস্তির টাকা দেওয়া নিয়ে বাক-বিতণ্ডা হয়। এর এক পর্যায়ে ময়নাল শোবার ঘরে সেলিনাকে শ্বাসরোধ ও পুড়িয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন বিষয়টি টের পেয়ে সাঘাটা থানা পুলিশকে অবহিত করেন। পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। সরেজমিনে দেখা গেছে, লাশের পাশে পুরে যাওয়া অল্প কিছু টাকা ও স্থানীয় এনজিও ভরতখালী সমাজ কল্যাণ সংস্থা (এসকেএস) একটি বই। এ বিষয়ে উল্যাবাজার এসকেএস শাখা অফিসের ব্যবস্থাপক আনারুল ইসলাম জানান, পুড়ে যাওয়া বইটি কিস্তির বই নয়। স্বাস্থ্য সেবার কার্ড। সাঘাটা থানার ওসি বেলাল হোসেন জানান, প্রাথমিকভাবে হত্যার আলামত পাওয়া গেছে। লাশ ময়নাতদন্তের পর পুরো বিষয়টি নিশ্চিতভাবে জানা যাবে।
স্ত্রী হত্যা, স্বামী পলাতক, সাঘাটা
অশুভ শক্তি যেন ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে না পারে: নাসিম
প্রকাশ: ০২ অক্টোবর ২০১৯ | ০৭:৪৪ | আপডেট: ০২ অক্টোবর ২০১৯ | ০৭:৪৭
চলমান দুর্নীতিবিরোধী অভিযানের সুযোগ নিয়ে অশুভ শক্তি যেন ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে না পারে সেজন্য নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম।বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে গণতন্ত্রী পার্টির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ আহ্বান জানান।মোহাম্মদ নাসিম বলেন, সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। সাবধান থাকতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুর্নীতি ও অপকর্মের বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করেছেন। সেই সুযোগে কোনো অশুভ শক্তি যেন ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে না পারে।তিনি বলেন, দেশের দুর্বৃত্তায়নের রাজনীতি বন্ধ করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই কাজটি ইতোমধ্যে শুরু করেছেন। যারা ত্যাগের সময় ছিলেন এবং জাতির পিতার বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বিশ্বাস করেন– তারা কখনো দুর্বৃত্তায়নের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত হতে পারেন না।বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন প্রসঙ্গে ১৪ দলের মুখপাত্র নাসিম বলেন, 'জামিন পেলে খালেদা জিয়া বিদেশে যাবেন– এ কথা একজন বিএনপি নেতা বলেছেন। জানি না এই কথা তারা দায়িত্ব নিয়ে বলেছেন কি-না। জামিন দেওয়ার এখতিয়ার আসলে আদালতের। আদালতকে জামিন দেওয়ার কথা আমরা কীভাবে বলবো। বিচার বিভাগ তো স্বাধীন।'বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, 'দুর্নীতিবাজ, দুঃশাসন ও সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে যে অভিযান চলছে তা অব্যাহত রাখতে হবে। আমরা যদি এই ধারাবাহিকতা নিয়ে এগোতে পারি তাহলেই বাংলাদেশকে কার্যকর রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব হবে।আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, যারা দেশের আইন, সংবিধান ও নির্বাচনকে চ্যালেঞ্জ করে রাজনীতি করার চেষ্টা করেছিল– তাদের সেই দূরভিসন্ধি ব্যর্থ করে দেওয়া হয়েছে। তারা আজ রাজনীতি, গণতন্ত্র ও নির্বাচনের ধারায় ফিরে এসে কথা বলতে বাধ্য হয়েছে। এটাই হচ্ছে ১৪ দলের সংগ্রামের মাইলফলক।গণতন্ত্রী পার্টির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মাহমুদুর রহমান বাবুর সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন মোজাফ্‌ফর হোসেন পল্টু, শরীফ নূরুল আম্বিয়া, দিলীপ বড়ুয়া, ডা. ওয়াজেদুল ইসলাম খান, ডা. শাহাদাত হোসেন প্রমুখ।
মোহাম্মদ নাসিম, দুর্নীতিবিরোধী অভিযান, অশুভ শক্তি, ঘোলা পানিতে মাছ শিকার
পেঁয়াজের মূল্য নির্ধারণের চিন্তা সরকারের
প্রকাশ: ০২ অক্টোবর ২০১৯ | ০৭:৫০
খুচরা বাজারে পেঁয়াজের মূল্য নির্ধারণ করে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়ার কথা চিন্তা করছে সরকার।বুধবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের একথা কথা জানান বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। পেঁয়াজের দাম নির্ধারণ করে দেওয়া হবে কিনা এমন প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, এ ব্যাপারে একটা সিদ্ধান্ত নেওয়া দরকার, আমরা একটাব্যয়ের হিসাব পেয়েছি, কিছু নষ্ট হতে পারে এর সঙ্গে মুনাফা ধরে ব্যবস্থানেওয়া যেতে পারে। দেশি ও আমদানি করা পেঁয়াজের মূল্য নির্ধারণ পৃথক করা হবেকিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, দুইরকম নির্ধারণ করা তো যাবে না। একরকমই করতে হবে। হিসাব করে আলোচনা করবো; কি পরিমাণ দাম নির্ধারণ করে দিলে ভালহয়। মন্ত্রী বলেন, ভারত পেঁয়াজ রফতানি বন্ধকরে দেওয়ায় এর প্রভাব পড়তে দেরি হওয়ার কথা থাকলেও দাম বাড়ানোর সুযোগনেওয়া হয়েছে। আমদানি পেঁয়াজ ভারত থেকেই বেশি আসতো। ভারতেও বর্তমানে দামবেশি। তিনি বলেন, বুধবার সকালে টেকনাফ বন্দরে ৪৮৩ টন পেঁয়াজ ঢুকেছে। আরও চারথেকে ৫০০ টন ঢুকবে। পেঁয়াজ আমাদিন শুরু হয়েছে এবং বেশি লাভ করলে ৬০ টাকারবেশি দাম হওয়া উচিত নয়। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, সব সময় বিদেশি পেঁয়াজের চেয়ে দেশি পেঁয়াজের দাম বেশি থাকে। এই ব্যবধান ৫ থেকে ৭ টাকা বেশি থাকে। স্থানীয় পর্যায়ে উৎপাদিতপেঁয়াজের দাম বাড়নোর কথা নয়, সেটা তো দেশেই থাকে। সব বিবেচনা করে একটিযৌক্তিক দামে আসতে হবে যাতে এই দামে সবাই নিতে পারেন। দাম নির্ধারণের কবেনাগাদ হতে পারে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, দু'তিনদিনের মধ্যে। আজ যে পেঁয়াজ আসবে, জরুরিভাবে এই পণ্যটি আসলে বাজারে প্রভাবপড়বে।পেঁয়জের দাম সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানান বাণিজ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, মিয়ানমার থেকে খুব দ্রুত আনা যায়। ল্যান্ডেড কস্ট ৪২থেকে ৪৩ টাকা ঢাকায় আনার খরচ লাভ নিয়ে ৫৫ টাকার বেশি হওয়া উচিত নয়।তিনি জানান, সরকার ৪৫ টাকা করে টিসিবিরমাধ্যমে পেঁয়াজ বিক্রি করছে। টিসিবি ৬০ টাকা কিনেভর্তুকি দিয়ে বিক্রি করছে যাতে সাধারণ মানুষ সুবিধা পায়। মন্ত্রী বলেন, ভারত থেকে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ হবে চিন্তাও করিনি, এটার ওপর কারওহাত নেই। তবে এখন দেশে ৭ থেকে ৮ লাখ টন বেশি উৎপাদন করতে হবে। এসময় ভোক্তাদের সচেতন হওয়ার পরামর্শও দেন তিনি।
পেঁয়াজ, পেঁয়াজের দাম
পুকুর ভরাট করে বহুতল ভবন, ৩০ লাখ টাকা জরিমানা
প্রকাশ: ০২ অক্টোবর ২০১৯ | ০৮:৪৭ | আপডেট: ০২ অক্টোবর ২০১৯ | ১১:১৮
চট্টগ্রামে নগরের সদরঘাট থানাধীন মোগলটুলী এলাকায় পুকুর ভরাট করে ১৪ তলা ভবন নির্মাণ করায় জানে আলম নামে একজনকে ৩০ লাখ টাকা জরিমানা করেছে পরিবেশ অধিদফতর। বুধবার শুনানি শেষে এ জরিমানার আদেশ দেন পরিবেশ অধিদফতর চট্টগ্রাম মহানগরের পরিচালক আজাদুর রহমান মল্লিক। আদেশে অবিলম্বে জরিমানার অর্থ পরিশোধ করে দুই সপ্তাহের মধ্যে পরিবেশ ছাড়পত্র গ্রহণের জন্য ভবন মালিককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জানে আলম সদরঘাট থানাধীন মোগলটুলী এলাকার আবদুল করিমের ছেলে।পরিবেশ অধিদফতর চট্টগ্রাম মহানগরের সহকারী পরিচালক সংযুক্তা দাশগুপ্তা জানান, পুকুর ভরাট করে ১৪ তলা ভবন নির্মাণ করেছেন মোগলটুলী এলাকার জানে আলম। এতে পরিবেশের ক্ষতি হয়েছে। তাই তাকে ৩০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এদিকে বুধবার নগরীর বায়েজিদ থানাধীন জালালাবাদ কুলগাঁও এলাকার ইনোভা টেক্সটাইল লিমিটেডকে ত্রুটিপূর্ণ ইটিপির মাধ্যমে তরল বর্জ্য নিরসরণ করায় ৮৬ হাজার ৪০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে বলে জানান সংযুক্তা দাশগুপ্তা।
পুকুর ভরাট, জরিমানা, চট্টগ্রাম
বরগুনায় ইলিশ উৎসব
প্রকাশ: ০২ অক্টোবর ২০১৯ | ০৮:৫০ | আপডেট: ০২ অক্টোবর ২০১৯ | ০৯:১৫
র‌্যালী, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বরগুনায় প্রথমবারের মতো পালিত হয়েছে দিনব্যাপী 'ইলিশ উৎসব'। জেলা প্রশাসন ও বরগুনা জেলা টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরাম  বুধবার এ উৎসবের আয়োজন করে। এদিন সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে থেকে উৎসব উপলক্ষ্যে বর্নাঢ্য র‌্যালী শুরু হয়ে শহর প্রদক্ষিণ শেষে বরগুনা সার্কিট হাউজ মাঠ প্রাঙ্গনে শেষ হয়। পরে উৎসবের উদ্বোধন করেন মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও বরগুনা-১ আসনের সংসদ সদস্য এডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু।বরগুনার জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহর সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন, বরগুনা জেলা চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মো. জাহাঙ্গীর কবির, জেলা এনজিও ফোরামের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মোতালেব মৃধা, বরগুনা প্রেসক্লাবের সভাপতি চিত্তরঞ্জন শীল, সাবেক জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুর রশিদ, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ, জেলা টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি মনির হোসেন কামাল প্রমুখ। এরপর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ইলিশ উৎসবের উদ্বোধনী পর্ব শুরু হয়।বরগুনা সার্কিট হাউজ মাঠে দিনভর ইলিশের ওপর প্রামান্যচিত্র প্রদর্শন, সাধারণ জ্ঞান প্রতিযোগিতা, ইলিশ বিষয়ক নাটক, পূঁথিপাঠ ও বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এছাড়াও স্বল্পমূল্যে ইলিশ ক্রয় এবং ইলিশের বাহারি খাবারের সমাহার ছিল ইলিশ উৎসবে। বরগুনা সদরসহ জেলার ছয়টি উপজেলা থেকে জেলেরা বাজারের চেয়ে অপেক্ষাকৃত কম মূল্যে এই উৎসবে ইলিশ বিক্রি করে। সকাল থেকে সকল শ্রেণী পেশার মানুষের ঢল নামে ইলিশ উৎসবে।উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বরগুনার ইলিশকে বিশ্বব্যাপী পরিচিতি করে তুলতে ও ইলিশের ভান্ডার হিসেবে খ্যাত বরগুনায় দেশি বিদেশি পর্যটকদের ট্যুরিজমে আকৃষ্ট করার পাশাপাশি মৎস্যখাতের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ ও জাটকা সংরক্ষণে জনসচেতনতা তৈরীর লক্ষ্যেই এ উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে।
ইলিশ উৎসব, বরগুনা
বরিশালে ব্যাটারিচালিত রিকশা শ্রমিকদের আমরণ অনশন শুরু
প্রকাশ: ০২ অক্টোবর ২০১৯ | ০৮:৫৯
ব্যাটারিচালিত রিকশা নগরীতে চলাচল করতে দেওয়ার দাবিতে আমরণ অনশন শুরু করেছেন রিকশা শ্রমিকরা। নগরীর প্রাণকেন্দ্র অশ্বিনী কুমার হল চত্বরে বুধবার সকাল থেকে এ অনশন শুরু হয়। বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) জেলা সদস্য সচিব ডা. মনীষা চক্রবর্তীর নেতৃত্বে প্রায় অর্ধশত রিকশা শ্রমিক আমরণ অনশনে অংশ নিয়েছেন। তিনি ব্যাটারিচালিত রিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের প্রধান উপদেষ্টা।জেলা বাসদের আহ্বায়ক প্রকৌশলী ইমরান হাবিব রুমন জানান, তাদের দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত অনশন অব্যাহত থাকবে। বুধবার সকালে অনশন শুরুর পর বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এসে এ কর্মসূচির সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেছেন। অনশন শুরুর আগে শ্রমিকরা লাল পতাকা হাতে নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করে নগরী প্রদক্ষিণ করেছে।সংহতি জানিয়ে বক্তারা বলেন, ব্যাটারিচালিত রিকশা চালানো পেশার সঙ্গে কমপক্ষে পাঁচ হাজার মানুষ জড়িত। তাদের পরিবার-পরিজন তাদের আয়ের ওপর নির্ভরশীল। নগরীতে ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধ করে দেওয়ায় এ পরিবারগুলো অনাহার-অর্ধাহারে দিনাতিপাত করছে।বক্তারা সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত আবদুল্লাহকে অভিযুক্ত করে বলেন, 'নগর পিতা হয়েও তিনি নগরবাসীর কথা শোনেন না। তার সঙ্গে সাধারণ মানুষ দেখা করার সুযোগ পান না। রিকশা শ্রমিকরা তাদের দুঃখের কথা জানাতে বিভিন্ন সময় মেয়রের কার্যালয় ও বাসার সামনে অপেক্ষা করলেও দেখা দেননি তিনি।অনশন কর্মসূচিতে সংহতি প্রকাশ করে বক্তৃতা করেন সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি আ. রাজ্জাক, গণফোরামের জেলা সভাপতি অ্যাডভোকেট হিরন কুমার দাস মিঠু, কমিউনিস্ট পার্টির জেলা সভাপতি মিজানুর রহমান সেলিম, আবু রায়হান, দুলাল মজুমদার, গণসংহতি আন্দোলনের জেলা আহ্বায়ক দেওয়ান আ. রসিদ নিলু, নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন জেলা সভাপতি আবুল হাসেম মাস্টার, শহিদুল ইসলাম, ছাত্র ইউনিয়ন নেতা নবীন আহমেদ, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট নেতা মোজাম্মেল হক সাগর প্রমুখ।উল্লেখ্য, গত ১৯ আগস্ট থেকে বরিশাল নগরীতে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ প্রশাসন। এরপর থেকে ধারাবাহিক আন্দোলন করে আসছে ব্যাটারিচালিত রিকশা শ্রমিক ইউনিয়ন।
ব্যাটারিচালিত রিকশা শ্রমিক, আমরণ অনশন, বরিশাল
ঐক্যফ্রন্টের বর্ষপূর্তি থেকে ধারাবাহিক কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত
প্রকাশ: ০২ অক্টোবর ২০১৯ | ০৮:৫৯ | আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০১৯ | ০৮:৩৩
জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠনের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ১৩ অক্টোবর থেকে সারাদেশে কর্মসূচি পালনের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ফ্রন্টের নেতারা। এর মধ্যে ২৯ ডিসেম্বর রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশ করার পরিকল্পনাও করছেন তারা।বুধবার রাজধানীর মতিঝিলে ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেনের চেম্বারে অনুষ্ঠিত বৈঠকে নতুন কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা করেন ফ্রন্টের শীর্ষ নেতারা। এসব কর্মসূচির বিষয়ে আবারও বৈঠক করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।বৈঠকে উপস্থিত এক নেতা জানান, ঐক্যফ্রন্টকে আরও সক্রিয় করতে দৃশ্যমান কর্মসূচি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে বৈঠকে। এর মধ্যে সারাদেশে বিভাগীয় শহর, বৃহৎ জেলাগুলোতে সমাবেশ করার পরিকল্পনা রয়েছে। তবে চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। ১৩ অক্টোবর জোটের এক বছর হতে যাচ্ছে। এদিনে জাতীয় প্রেস ক্লাব অথবা অন্য কোথাও আলোচনা সভা কিংবা সংবাদ সম্মেলন করে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। অক্টোবর ও নভেম্বরে দেশের বিভিন্ন শহরে সমাবেশের ব্যাপারে কথা হয়েছে। এ ছাড়া ২৯ ডিসেম্বর ঢাকায় গণতন্ত্র হত্যা দিবস পালন করার সম্ভাবনা আছে। এসব কর্মসূচিতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি, জাতীয় নির্বাচনে ভোট ডাকাতির অভিযোগ এবং সম্প্রতি ক্যাসিনো ও জুয়ার বিরুদ্ধে সরকারের অভিযানে রাঘববোয়লাদের না ধরার ইস্যুগুলোকে স্থান দিতে চাইছেন তারা। আগামী রোববার তাদের আরও একটি বৈঠক হবে।জেএসডির সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন বলেন, ঢাকায় প্রতিবাদ সমাবেশ করা হবে ২৯ অথবা ৩০ ডিসেম্বর। এ ছাড়া ১৩ অক্টোবর ঐক্যফ্রন্টের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ঢাকায় সমাবেশ করা হবে। আর অক্টোবর-নভেম্বর চট্টগ্রাম ও সিলেটে সমাবেশ হবে। এই সমাবেশের তারিখ পরে নির্ধারণ করা হবে।ড. কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে বৈঠকে অংশ নেন জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, জেএসডির সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন, গণফোরামের জগলুল হায়দার আফ্রিক, নাগরিক ঐক্যের ডা. জাহেদ উর রহমান, শহীদুল্লাহ কায়সার প্রমুখ।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট, ঐক্যফ্রন্টের কর্মসূচি
বাংলাদেশের জলসীমায় ভারতীয় ১৫ জেলে আটক
প্রকাশ: ০২ অক্টোবর ২০১৯ | ০৯:০৪
বাংলাদেশ জলসীমায় অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করে মাছ শিকারের অভিযোগে ফিশিং ট্রলারসহ ১৫ ভারতীয় জেলেকে আটক করেছে নৌবাহিনী। গত সোমবার বিকেল ৩টায় মোংলা বন্দরের অদূরে বঙ্গোপসাগরের ফেয়ারওয়ে বয়া এলাকা থেকে নৌবাহিনীর টহলরত জাহাজ বিএনএস নিশান তাদের আটক করে। মঙ্গলবার রাতে তাদের মোংলা থানায় হস্তান্তর করে নৌবাহিনী। এ ঘটনায় নৌবাহিনীর পেটি অফিসার মো. আবুল মঞ্জুর বাদী হয়ে আটক জেলেদের বিরুদ্ধে মোংলা থানায় একটি মামলা করেছেন। বুধবার আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।আটক জেলেরা হলেন- ভোলানাথ দাস (৬০), মিন্টু দাস (২৫), বাবুল সরকার (৪২), উত্তম দাস (২৬), কিরণ দাস (৬৫), রাজেশ দাস (৩৩), কার্তিক দাস (৪৫), আনন্দ দাস (৫০), নেপাল দাস (২৬), বাসুদেব দাস (৩০), সূর্য দাস (২৬), উত্তম দাস (৩৫), সোনারাম দাস (৫১), বিমল দাস (৪৮) ও পিল্টন দাস (২৩)। তাদের বাড়ি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার কাকদ্বীপ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে।মোংলা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তুহিন মণ্ডল জানান, ১৫ ভারতীয় জেলেকে আটকের সময় তাদের ফিশিং ট্রলার 'এফবি মা-লক্ষ্মী' জব্দ করা হয়।
ভারতীয় জেলে আটক, মোংলা
উত্তরবঙ্গ রুটে চালু হবে আরও ২ আন্তঃনগর ট্রেন: রেলমন্ত্রী
প্রকাশ: ০২ অক্টোবর ২০১৯ | ০৯:১০
রেলপথ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব থেকে বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের মানুষের জন্য ঢাকা ও উত্তরবঙ্গে সহজে যাতায়াতের রেল যোগাযোগ উন্নত করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এজন্য আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে উত্তরবঙ্গ রুটে আরও দু'টি আন্তঃনগর ট্রেন চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।বুধবার বিকেলে জামালপুরের সরিষাবাড়ী রেলওয়ে স্টেশনের পতাট ফর্মে সরিষাবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। রেলমন্ত্রী বলেন, রেলপথ একটি নিরাপদ যোগাযোগ মাধ্যম। এজন্য সরকার রেলপথ উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করে আসছে। তিনি আরও বলেন, ১৯৮৬ সালের পর রেলওয়েতে কোনো জনবল নিয়োগ দেওয়া হয়নি। তাই বিভিন্ন সাব-স্টেশন জনবল শূন্য। জনবল নিয়োগ দিয়ে এসব স্টেশন সচল করা হবে। নুরুল ইসলাম সুজন বলেন,  সরিষাবাড়ীর জরাজীর্ণ রেলস্টেশনটি মডেল স্টেশন, ওভারব্রিজ নির্মান ও এড. মতিউর রহমান তালুকদার রেলস্টেশন দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীত করা হবে। তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর সারা জীবনের ইচ্ছা ছিল দেশকে ভিক্ষুকের অভিশাপ থেকে মুক্ত করতে। তার ইচ্ছা আজ পূরণের সময় এসেছে। এ উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করতে স্বাধীনতাবিরোধীরা এখনও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছানোয়ার হোসেন বাদশার সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন- তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান এমপি, উপজেলা চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন পাঠান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক উপাধ্যক্ষ হারুন অর রশিদ, পৌর মেয়র রুকুনুজ্জামান, উপজেলা আওয়ামী যুবলীগ সভাপতি একেএম আশরাফুল ইসলাম প্রমুখ। 
রেলমন্ত্রী, সরিষাবাড়ী
খুলনায় স্ত্রী-ছেলে হত্যায় এক ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড
প্রকাশ: ০২ অক্টোবর ২০১৯ | ০৯:১০ | আপডেট: ০২ অক্টোবর ২০১৯ | ০৯:১৩
স্ত্রী ও ১৪ মাস বয়সী ছেলেকে রূপসা সেতু থেকে নদীতে ফেলে হত্যার দায়ে কাঠমিস্ত্রি অন্তর হোসেন রমজানকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া তাকে পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। বুধবার বিকেলে খুলনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মশিউর রহমান চৌধুরী এ রায় ঘোষণা করেন।আইনজীবীরা জানান, ২০১৭ সালের ২৭ জুন সন্ধ্যায় নগরীর খালিশপুর এলাকার বাসিন্দা কাঠমিস্ত্রি অন্তর, তার স্ত্রী তৈয়বা বেগম এবং ১৪ মাস বয়সী ছেলে আবদুর রহিম বাসে বরিশাল রওনা হন। তৈয়বার অসুস্থতার কারণে তারা রূপসা সেতুতে নেমে যান। এরপর রাত ৯টার দিকে স্ত্রীর সঙ্গে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে প্রথমে স্ত্রী এবং পরে ছেলেকে সেতু থেকে রূপসা নদীতে ফেলে দেন রমজান। স্থানীয়রা এ ঘটনা দেখে গণপিটুনি দিয়ে তাকে পুলিশে সোপর্দ করে।এ ঘটনায় নিহত তৈয়বার মা রাশিদা বেগম বাদী হয়ে পরদিন রূপসা থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রূপসা থানার এসআই হামিদুল ইসলাম ২০১৮ সালের ২০ এপ্রিল আদালতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করেন। ১৮ জন সাক্ষীর মধ্যে ১১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ড, কাঠমিস্ত্রি, খুলনা
সিলেট জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কামরুল হুদা
প্রকাশ: ০২ অক্টোবর ২০১৯ | ০৯:২৩
সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে সিলেট জেলা বিএনপির নতুন আহ্বায়ক হলেন কামরুল হুদা জায়গীরদার। জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি কামরুল জেলা বিএনপির বিদায়ী কমিটির সহসভাপতি ছিলেন। বুধবার কামরুলকে আহ্বায়ক করে ২৫ সদস্যের কমিটির অনুমোদন দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম। এ কমিটিকে আগামী ৩ মাসের মধ্যে কাউন্সিলের মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করতে হবে।বিএনপি সূত্র জানায়, প্রথমে সম্ভাব্য আহ্বায়ক হিসেবে অনেকের নাম আলোচনায় এলেও তারা দায়িত্ব নিতে রাজি হননি। বিশেষ করে আহ্বায়ক পরবর্তী সম্মেলনে প্রার্থী হতে পারবেন না- এমন শর্তের কারণে কেন্দ্রের প্রস্তাবে একাধিক নেতা নেতিবাচক মনোভাব পোষণ করেন। এতে আহ্বায়ক কমিটি গঠন প্রক্রিয়া প্রায় ৫ মাস বিলম্বিত হয়। শেষ পর্যন্ত কামরুলের পাশাপাশি আরেক সহসভাপতি আশিক উদ্দিন চৌধুরীর নাম সম্ভাব্য আহ্বায়ক হিসেবে আলোচনায় ছিল। তবে কানাইঘাট উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আশিক উদ্দিন চৌধুরীকে সদস্য রাখা হয়েছে।আহ্বায়ক কমিটির সদস্যরা হলেন- সদ্য সাবেক সভাপতি আবুল কাহের চৌধুরী শামীম, অ্যাডভোকেট আব্দুল গফফার, সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলী আহমেদ, কাইয়ুম চৌধুরী, অধ্যাপিকা সামিয়া চৌধুরী, অ্যাডভোকেট আশিক চৌধুরী, মঈনুল হক চৌধুরী, আব্দুল হান্নান, ফারুকুল ইসলাম ফারুক, শাহ জামাল নুরুল হুদা, মাহবুবুর রব চৌধুরী ফয়সল, মামুনুর রশীদ মামুন, ইশতিয়াক আহমেদ সিদ্দিকী, এমরান আহমদ চৌধুরী, নাজিম উদ্দিন লস্কর, সিদ্দিকুর রহমান পাপলু, মাযহারুল ইসলাম ডালিম, অ্যাডভোকেট হাসান পাটোয়ারী রিপন, আব্দুল আহাদ খান জামাল, মাহবুবুল হক চৌধুরী, আবুল কাশেম, শামীম আহমেদ ও আহমেদুর রহমান চৌধুরী।২০১৬ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি কাউন্সিলে সরাসরি ভোটে সদ্য বিদায়ী কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন। এই তিনজন দায়িত্ব নেওয়ার ১৪ মাস পর কেন্দ্র থেকে ২৫১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ জেলা কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়। গত বছরের অক্টোবরে লন্ডনে 'পলাতক' তারেক রহমানের বিরুদ্ধে একটি রায়ের প্রতিবাদে সিলেট জেলা বিএনপির হাতেগোনা কয়েক নেতা মিছিল করেন। এতে ক্ষুব্ধ তারেক সিলেট জেলা বিএনপির কমিটি ভেঙে দিতে দেশে অবস্থানরত শীর্ষ নেতাদের নির্দেশ দেন। পাশাপাশি জেলা বিএনপি নেতাদের ঢাকায় ডেকে নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের সামনে তাদের সঙ্গে টেলিকনফারেন্সের মাধ্যমে মতবিনিময় করেন তারেক। পরে নতুন কমিটি করতে ডা. জাহিদ হোসেনকে প্রধান করে কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক টিম গঠন করে দেওয়া হয়। ডা. জাহিদ বর্ধিত সভা করে যাওয়ার পর পাঁচ মাস ধরে আহ্বায়ক কমিটির অপেক্ষায় ছিলেন জেলার নেতাকর্মীরা।
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক, বিএনপি, কামরুল হুদা জায়গীরদার
প্রধানমন্ত্রীর দিল্লি সফরে হতে পারে ১২ চুক্তি
প্রকাশ: ০২ অক্টোবর ২০১৯ | ০৯:২৭ | আপডেট: ০২ অক্টোবর ২০১৯ | ১৩:৫০
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিরবৈঠকের আলোচ্যসূচিতে থাকছে ১১টি ইস্যু। আর সই হতে পারে ১০ থেকে ১২টি সমঝোতাস্মারক ও চুক্তি। নয়াদিল্লিতে এ বৈঠকে তিস্তাসহ আটটি অভিন্ন নদীর পানিবণ্টন নিয়ে কাঠামোগত চুক্তির ব্যাপারে আলোচনা হবে। বৃহস্পতিবার চারদিনের ভারত সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামী শনিবার শেখহাসিনা-নরেন্দ্র মোদি বৈঠক হবে। গত জানুয়ারিতে টানা তৃতীয় মেয়াদে শেখহাসিনার নেতৃত্বে সরকার গঠনের পর এটি তার প্রথম ভারত সফর। বুধবার বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছেনপররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্র সচিবশহীদুল হক উপস্থিত ছিলেন।পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ভারত সফরের প্রথম দু'দিন ৩ ও ৪ অক্টোবরপ্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিল্লিতে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের আয়োজনে'ইন্ডিয়ান ইকোনমিক সামিটে' অংশ নেবেন। সম্মেলনের প্রথম দিন প্রধানমন্ত্রীবিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ১০০টি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের ফোরাম ইন্টারন্যাশনালবিজনেস কাউন্সিলের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সঙ্গে সংলাপে অংশ নেবেন।সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিকসহযোগিতা অধিকতর বৃদ্ধির বিষয়ে অন্য অতিথিদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। এঅনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সিঙ্গাপুরের উপপ্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীহেং সুই কিটসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা অংশ নেবেন। দুই প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের আলোচ্যসূচি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, শনিবারদিল্লিতে স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১১টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতেরপ্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক শুরু হবে।বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের নানা বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে।বৈঠকে অন্যান্য বিষয়ের সঙ্গে ১১টি বিষয়ে আলোচনার কথা রয়েছে। এগুলো হচ্ছে-সীমান্তে হত্যা শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনা ও চোরাচালান বন্ধের বিষয়েসহযোগিতা বৃদ্ধি, উভয় দেশের মধ্যে জনযোগাযোগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্নমুখীউদ্যোগ গ্রহণ এবং বাংলাদেশের নাগরিকদের ভারতীয় ভিসা থাকা সাপেক্ষে আরও অবাধযাতায়াতের ব্যবস্থা গ্রহণ, সন্ত্রাসবাদ রোধ এবং আঞ্চলিক শান্তি ওস্থিতিশীলতা বজায় রাখার লক্ষ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধি, সার্বিক বাণিজ্যিক ওআর্থিক সহযোগিতা বৃদ্ধি, বাংলাদেশের রফতানি পণ্যের ওপর আরোপিতঅ্যান্টিডাম্পিং ও অ্যান্টিসারকামভেশন শুল্ক প্রত্যাহার, বাংলাদেশ ওভারতের মধ্যে নৌ ও সমুদ্রপথে যোগাযোগ বৃদ্ধি, 'বিবিআইএন এমভিএ' চুক্তিস্বাক্ষরের বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ, গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তির সর্বোত্তমব্যবহার নিশ্চিত করা, উন্নয়ন ও জ্বালানি খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধি, জাতির পিতাবঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০বছর ও বাংলাদেশ-ভারত কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপনের বিষয়ে যৌথউদ্যোগ গ্রহণ এবং রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের বিষয়ে ভারতেরসহযোগিতা।এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন জানান, বৈঠকে কতটি সমঝোতা স্মারকও চুক্তি স্বাক্ষর হবে, তা এ মুহূর্তে সুনির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না। তবে১০ থেকে ১২টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে।অপর একটি প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে তিস্তাসহ অভিন্ননদীগুলোর পানি বণ্টনের বিষয় এবং এনআরসি প্রসঙ্গ নিয়ে আলোচনা তোলা হবে।তিনি বলেন, তিস্তাসহ আটটি অভিন্ন নদীর পানি বণ্টনে কাঠামোগত চুক্তির বিষয়েআলোচনা করা হবে। ভারতের রাষ্ট্রপতি ও সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে বৈঠক: সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়,সফরকালে শনিবার প্রধানমন্ত্রী ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গেসৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। এ দিন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শংকরওপ্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। সফরের চতুর্থ দিন ৬ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতীয় কংগ্রেসেরঅন্তর্বর্তী সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। এ দিনইপ্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকায় ফিরবেন।
প্রধানমন্ত্রী, শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগ, প্রধানমন্ত্রীর সফর, ভারত
মেয়েকে উত্যক্তের প্রতিবাদ করায় বাবা খুন, গৃহশিক্ষক আটক
প্রকাশ: ০২ অক্টোবর ২০১৯ | ০৯:৩২ | আপডেট: ০২ অক্টোবর ২০১৯ | ০৯:৩৫
মেয়েকে উত্যক্তের প্রতিবাদ করায় সিরাজগঞ্জের কাজিপুরে আব্দুর রউফ আবু সাঈদ (৪৫) নামের এক বাবা খুন হয়েছেন। বুধবার সন্ধ্যায় কাজিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। আবু সাইদ উপজেলার গান্ধাইল ইউনিয়নের দুবলাই গ্রামের কোরবান আলী মন্ডলের ছেলে। পুলিশ রাত সাড়ে ৮টার দিকে তার লাশ উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় ওই শিক্ষার্থীর সাবেক গৃহশিক্ষক আমিনুল ইসলামকে আটক করা হয়েছে।  তার বাড়ি কাজিপুর উপজেলা সদরের আলমপুর গ্রামে।কাজিপুর থানার ওসি এ কে এম লুৎফর রহমান জানান, আবু সাঈদের মেয়ে সিরাজগঞ্জ সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের অনার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী।  ওই ছাত্রী যখন ইন্টারমিডিয়েটে পড়তেন আমিনুল ইসলাম তখন তার গৃহশিক্ষক ছিলেন। কয়েক মাস ধরে কলেজ যাওয়ার পথে ওই ছাত্রীকে প্রায়ই উত্যক্ত করতেন তিনি। বিষয়টি নিয়ে তাকে বেশ কয়েকবার সতর্ক করেছে মেয়েটির স্বজনরা। বুধবার দুপুরে মেয়েটি কলেজ থেকে বাড়ি ফেরার পথে আমিনুল ও তার কয়েকজন ছাত্র মিলে পথ আগলে তাকে উত্যক্ত করে। খবর পেয়ে মেয়েটির বাবা আবু সাঈদ গিয়ে প্রতিবাদ করেন। এ সময় আমিনুল দলবল নিয়ে তাকে মারধর করেন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কাজিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যায় তার মৃত্যু হয়। ওসি আরও জানান, এ ঘটনার মেয়েটির চাচা বাদী হয়ে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। পুলিশ গিয়ে লাশটি উদ্ধার করেছে। আমিনুলকে রাতে আটক করা হয়েছে। তার সঙ্গে থাকা বাকিদের খুঁজছে পুলিশ।
উত্যক্তের প্রতিবাদ, খুন, সিরাজগঞ্জ
সৌদিতে নারী শ্রমিক নির্যাতন বন্ধে চেষ্টা চলছে: প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী
প্রকাশ: ০২ অক্টোবর ২০১৯ | ০৯:৩২
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ বলেছেন, সৌদি আরবে নারী শ্রমিক নির্যাতন ও হত্যা বন্ধে সব ধরনের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। কূটনৈতিক তৎপরতার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বুধবার সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।এ সময় মন্ত্রী আরও বলেন, সম্প্রতি এ বিষয়ে সৌদি সরকারের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে, আগামী নভেম্বরে সৌদি আরব সফরে এসব সমস্যা নিয়ে আবার কথা বলব। তিনি বলেন, সমস্যা সৃষ্টির জন্য অনেক রিক্রুটিং এজেন্সি নারী কর্মীদের বয়স জালিয়াতি করেছে। এ জন্য তারাও দায়ী। দায়ী প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।সম্প্র্রতি সৌদি আরবে নির্যাতনে নিহত মানিকগঞ্জের এক নারী গৃহকর্মীর লাশ দেশে আনার ব্যাপারে মন্ত্রী বলেন, সেখানে আইনি জটিলতা রয়েছে। তা সমাধান হয়ে গেলে লাশ ফিরিয়ে আনা হবে। সম্প্রতি সৌদি আরব থেকে নির্যাতনের শিকার হয়ে দেশে ফিরেছেন বেশ কিছু নারী শ্রমিক। তাদের অনেকে যৌন নির্যাতনের শিকার হওয়ার কথাও জানিয়েছেন। দেশে ফেরার সময় প্রাপ্য বেতনও তাদের দেওয়া হয়নি।এর আগে মন্ত্রী সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন।
ইমরান আহমদ, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী , সিলেট
অপেক্ষা করুন, গরম খবর পাবেন: কাদের
প্রকাশ: ০২ অক্টোবর ২০১৯ | ০৯:৪০ | আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০১৯ | ০৮:৩৩
রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউয়ে বুধবার সকাল ১১টায় বিআরটিএর ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম পরিদর্শনের কর্মসূচি ছিল সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের। সকাল ১০টার দিকে জানানো হয়, কর্মসূচিটি স্থগিত করা হয়েছে। সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে রাজনৈতিক ইস্যুতে কথা বলবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। সাংবাদিকরা ছুটে যান সেখানে। ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন, 'একটু অপেক্ষা করুন, গরম খবর পাবেন।'কী সেই 'গরম খবর' তা খোলাসা করেননি ওবায়দুল কাদের। এ বক্তব্যের ঘণ্টাখানেক আগে তার সঙ্গে দেখা করেন বিএনপির এমপি হারুনুর রশিদ। 'খালেদা জিয়া জামিন পেলে বিদেশ যাবেন'– মঙ্গলবার এ বক্তব্য দিয়ে রাজনীতির মাঠে নতুন আলেচনার জন্ম দিয়েছেন তিনি।'গরম খবর'টি খালেদা জিয়ার মুক্তি সংক্রান্ত কি-না– এমন প্রশ্নে ওবায়দুল কাদের বলেন, 'যখন জানাব, তখনই বুঝবেন কী ধরনের খবর। চাঁদাবাজ, ক্যাসিনো পরিচালনাকারী ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে চলমান অভিযান আরও জোরদার হবে।'চলমান জুয়াবিরোধী অভিযানে ক্যাসিনো বাণিজ্যে নাম আসা যুবলীগ নেতা ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট গ্রেফতার হচ্ছেন কি-না, এ প্রশ্নে তিনি বলেন, 'বলছি তো ধৈর্য ধরুন, অপেক্ষা করুন।' 'গরম খবর' সম্রাট সংক্রান্ত কি-না, এর জবাব এড়িয়ে যান আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগের আগামী সম্মেলনে অনেক চমক অপেক্ষা করছে। স্বচ্ছ ইমেজের নেতারা দলের নেতৃত্বে আসবেন। আগে বলে দিলে চমক থাকবে না।তিনি জানান, গত ২১ সেপ্টেম্বর থেকে জেলাওয়ারি প্রতিনিধি সম্মেলন শুরু হয়েছে। ২০১২ সালের আগে যেসব জেলা-উপজেলা কমিটির মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেছে, সেখানে আগে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এরপর অন্যগুলোর হবে। ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে সব শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা আছে। তারপর জাতীয় সম্মেলন হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিতর্কিতদের কমিটিতে জায়গা দেবেন না।আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক জানিয়েছেন, যুবলীগসহ সব অঙ্গসংগঠনের সম্মেলনের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হবে। তিনি ভারত সফরে যাওয়ার আগেই এ বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেবেন। যোগ্যতা ও কর্মদক্ষতার ভিত্তিতে নতুন কমিটি গঠন করা হবে।ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগে থাকা চাঁদাবাজ, ক্যাসিনোবাজ, ধান্ধাবাজদের সম্পর্কে গণমাধ্যমে লিখতে সাংবাদিকদের ওপর কোনো বাধা নেই। সরকার অভয়ের দরজা খুলে দিয়েছে।
সেতুমন্ত্রী, ওবায়দুল কাদের, গরম খবর
মহাত্মা গান্ধীর জীবন থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত: দীপু মনি
প্রকাশ: ০২ অক্টোবর ২০১৯ | ০৯:৪৫ | আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০১৯ | ০৮:৩২
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, ভারতের স্বাধীনতার স্বপ্নদ্রষ্টা মহাত্মা গান্ধীর জীবন থেকে সবার শিক্ষা নেওয়া উচিত। মহাত্মা গান্ধীর জন্মের সার্ধশত বর্ষ পালন উপলক্ষে বুধবার রাজধানীর বারিধারায় ভারতীয় হাইকমিশনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলী দাশও বক্তব্য দেন।অনুষ্ঠানে ভারতীয় হাইকমিশনের পদস্থ কর্মকর্তাদের পাশাপাশি আরও উপস্থিত ছিলেন রবীন্দ্রসঙ্গীতশিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা এবং রাজধানীর বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীরা। আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে শর্মিলা ব্যানার্জির কোরিওগ্রাফিতে পরিবেশিত হয় দলীয় নৃত্য। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ভারতীয় হাইকমিশনের ইন্দিরা গান্ধী কালচারাল সেন্টারের পরিচালক ড. নীপা চৌধুরী।শিক্ষামন্ত্রী বলেন, মহাত্মা গান্ধীর প্রত্যাশিত সুন্দর পৃথিবী গড়তে হলে শিশুদের কাছ থেকেই শুরু হতে হবে। আর শিশুদের জন্য সবচেয়ে বড় বিষয় হলো ইচ্ছাশক্তি। প্রবল ইচ্ছাশক্তিতেই স্বপ্নকে ছোঁয়া যায়, স্বপ্ন ছুঁতে না পারলেও তার অনেক কাছাকাছি পৌঁছা যায়। এটি মহাত্মা গান্ধীরই শিক্ষা।রীভা গাঙ্গুলী দাশ বলেন, মহাত্মা গান্ধী শুধু কথা বলেননি, বরং তার কথাগুলো নিজের জীবন যাপনের সঙ্গে মিলিয়ে প্রমাণ করে গেছেন। তার বিভিন্ন শিক্ষা গ্রহণের জন্য তারুণ্যই সবচেয়ে উপযুক্ত সময়।
ডা. দীপু মনি, শিক্ষামন্ত্রী
২৪ ঘণ্টায় সর্বনিম্ন ডেঙ্গু রোগী
প্রকাশ: ০২ অক্টোবর ২০১৯ | ১০:০০ | আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০১৯ | ০৮:৩৩
ডেঙ্গু আক্রান্তের তালিকায় নতুন করে আরও ৩৩৬ জন যুক্ত হলেন। গত আগস্টের পরএটিই একদিনে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া সর্বনিম্ন রোগীর সংখ্যা। এনিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ৮৮ হাজার ছাড়াল। গত এক সপ্তাহ ধরেডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যায় হ্রাস-বৃদ্ধি ঘটছে। মঙ্গলবার রাতে ডেঙ্গু আক্রান্তআরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। তার বাড়ি মাগুরায়। চলতি বছর এ পর্যন্ত ডেঙ্গুআক্রান্ত হয়ে ২৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে সরকারি হিসাবে এখন পর্যন্ত ৮১জনের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমেরতথ্য অনুযায়ী, বুধবার নতুন করে আরও ৩৩৬ জন আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালেভর্তি হয়েছেন। গত সপ্তাহে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা কমতে শুরু করে।গত ২৫ সেপ্টেম্বর আক্রান্তের সংখ্যা চারশ'র নিচে নামে। ওই দিন ৩৯৮ জনআক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। এরপর আক্রান্তের সংখ্যায়হ্রাস-বৃদ্ধি ঘটলেও তা চারশ' অতিক্রম করেনি। মাঝে দু'দিন আক্রান্তের সংখ্যাকিছুটা বাড়লেও বুধবার আবার কমেছে। সকাল ৮টা থেকে পরদিন সকাল ৮টা পর্যন্তমোট ২৪ ঘণ্টা ধরে প্রতিদিন হাসপাতালে নতুন করে ভর্তি রোগীর তালিকা করা হয়।সে অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ১০২ জন এবং ঢাকার বাইরেবিভিন্ন বিভাগ ও জেলা হাসপাতালে ২৩৪ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। চলতি বছর এপর্যন্ত ৮৮ হাজার ৬৬০ জন আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে৮৬ হাজার ৯৬৪ জন চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল ছেড়েছেন। দেশের সরকারি-বেসরকারিহাসপাতালে ১ হাজার ৪৬০ জন রোগী ভর্তি আছেন। তাদের মধ্যে রাজধানীর ৪১সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ৫২৪ জন এবং ঢাকার বাইরে বিভাগীয় ও জেলা সদরহাসপাতালে ৯৩৬ জন রোগী চিকিৎসাধীন।
ডেঙ্গু, এডিস মশা, ডেঙ্গু রোগী
ধর্মঘটের ডাক সিএনজি অটোরিকশার মালিক-শ্রমিকদের
প্রকাশ: ০২ অক্টোবর ২০১৯ | ১০:০৫ | আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০১৯ | ০৮:৩২
পুলিশি হয়রানি বন্ধসহ ৯ দফা দাবিতে আগামী ১৫, ১৬ ও ১৭ অক্টোবর ৭২ ঘণ্টার ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে ঢাকা মহানগর সিএনজি অটোরিকশা মালিক-শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদ।বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের নেতারা এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আয়োজক পরিষদের আহ্বায়ক মো. বরকত উল্লাহ ভুলু কয়েক দফা দাবি জানান। দাবিগুলোর মধ্যে আছে- রাজধানীতে চলাচলরত ঢাকা জেলা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলার অটোরিকশা ও অন্যান্য অবৈধ সিএনজি অটোরিকশা চলাচল নিষিদ্ধ করতে হবে; প্রাইভেট সিএনজি অটোরিকশার বাণিজ্যিক ব্যবহার বন্ধ করতে হবে; সুনির্দিষ্ট পার্কিংয়ের ব্যবস্থা না করে নো পার্কিং মামলা ও ডাম্পিং করা যাবে না; এসএস স্টিলের গ্রিল বাম্পার রং করার নামে মামলা এবং ভিডিও/গায়েবি মামলাসহ অন্যায়ভাবে কোনো রকম মামলা ও রেকারিং করা যাবে না; রাইড শেয়ারিং সার্ভিসের অনুমোদনবিহীন সকল মোটরসাইকেল ও প্রাইভেটকার বাণিজ্যিক ব্যবহার বন্ধ করতে হবে; রাইড শেয়ারিং সার্ভিসের সকল চালককে নির্দিষ্ট পোশাক, পেশাদারি লাইসেন্স বাধ্যতামূলক করতে হবে; সেপ্টেম্বর ২০১৫ সালের পর চার বার গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির কারণে চালকের ব্যয় বৃদ্ধি হওয়ায় ভাড়ার মিটারে প্রথম ২ কিলোমিটার ৮০ টাকা এবং পরবর্তী প্রতি কিলোমিটার ৩০ টাকা এবং ওয়েটিং চার্জ প্রতি মিনিট ৪ টাকা এবং মালিকের দৈনিক জমা আনুপাতিক হারে বাড়াতে হবে।সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এসব দাবি মানা না হলে আগামী ৬ অক্টোবর সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন, ৭ থেকে ১২ অক্টোবর থানায় থানায় কর্মিসভা ও গণসংযোগ, ১৩ অক্টোবর সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে মালিক-শ্রমিক সমাবেশ এবং আগামী ১৫, ১৬ ও ১৭ অক্টোবর মঙ্গল, বুধ ও বৃহস্পতিবার ৩ দিন লাগাতার ৭২ ঘণ্টার সিএনজি অটোরিকশা ধর্মঘট পালন করা হবে।পরিষদের সদস্য সচিব সাখাওয়াত হোসেন দুলালের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন এটিএম নাজমুল হাসান, মোতালেব হোসেন, মামুনুর রশীদ পিন্টু, আব্দুল করিম, মো. হারুন অর রশীদ, মোশারেফ হোসেন, সিদ্দিকুর রহমান, শাহে আলম, আব্দুল খালেক মজনু, অহিদুজ্জামান, শাহাবাজ খান সাজু, আব্দুল জাব্বার, মো. ইসলাম, মকবুল হোসেন, নুর মোর্শেদ, দেলোয়ার হোসেন, মো. মিঠু, জাহাঙ্গীর হোসেন, আব্দুল মালেক, মাহাবুর প্রমুখ।
সিএনজি অটোরিকশা ধর্মঘট
পেট্রাপোলে গণধর্ষণের শিকার বাংলাদেশি তরুণী
প্রকাশ: ০২ অক্টোবর ২০১৯ | ১০:১৮
ভারতের উত্তর ২৪ পরগণার পেট্রাপোল সীমান্তের নরহরিপুর এলাকায় দুই পাচারকারী দালালের হাতে বাংলাদেশি এক তরুণীকে গনধর্ষণ শিকার হয়েছে। মঙ্গলবার রাতের এ ঘটনায় দুই অভিযুক্ত মোশারেফ মন্ডল ও তপন বিশ্বাসকে খুঁজছে পুলিশ। শারীরিক পরীক্ষার পর ওই তরুণী পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। পুলিশ সূত্র জানায়, ওই তরুণীর বাড়ি বাংলাদেশের নড়াইলে। স্বরূপনগর সীমান্ত দিয়ে দালালের সহায়তায় চোরাপথে ভারতে প্রবেশ করেন তিনি। এরপর কাজের উদ্দেশ্যে গুজরাটের সুরাটে যান। সেখানেও শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হন তিনি। এরপর বাংলাদেশে ফেরার সিদ্ধান্ত নেন। এ কারণে তিনি গুজরাট থেকে পালিয়ে আসেন পশ্চিমবঙ্গে। পেট্রাপোল সীমান্তে পাচারকারী এক দালালের বাড়িতে আশ্রয় নেন। সেখানেই গণধর্ষণের শিকার হন তিনি। অভিযুক্ত দু'জন চোরা কারবারের সঙ্গে যুক্ত বলে জানিয়েছে পুলিশ।নির্যাতিতা তরুণীটি জানান, মঙ্গলবার রাতে ওই দুই দালালের গোপন ডেরা থেকে লোকালয়ে পালিয়ে আসেন তিনি। স্থানীয় বাসিন্দারা সব শুনে পেট্রাপোল থানায় খবর দেয়। পুলিশ তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। অভিযুক্ত দু'জনের নামে ধর্ষণের মামলা করেছে পুলিশ। পাশাপাশি চোরাপথে ভারতে প্রবেশের অভিযোগে ওই তরুণীর বিরুদ্ধেও মামলা হয়েছে। বুধবার সকালে তাকে বনগাঁ মহাকুমা আদালতে তোলা হয়।
গণধর্ষণ, ভারত, পেট্রাপোল
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বললেন ডিপিপি এখনও অনুমোদন হয়নি
প্রকাশ: ০২ অক্টোবর ২০১৯ | ১০:২২
চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনায় (ডিপিপি) বালিশ ও কভারের অস্বাভাবিক দাম নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ওই ডিপিপি এখনও অনুমোদন হয়নি। ভুল-ত্রুটি যাচাই-বাছাই করে এটি প্রি-একনেকে অনুমোদন করা হবে। এরপর প্রকল্পটি পাসের জন্য একনেকে উঠবে। এখনও প্রকল্পটি প্রি-একনেকে অনুমোদন হয়নি। ভুলভ্রান্তি যা হয়েছে, সেগুলো অবশ্যই ঠিক করা হবে।বুধবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ডা. মিলন হলে এক অনুষ্ঠানে যোগদান শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।'নিরন্তর গবেষণা: উন্নততর চিকিৎসা ও শিক্ষার সোপান' শীর্ষক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা দিবস উদযাপন উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।সম্প্রতি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি প্রকল্পের প্রস্তাবনা পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। ওই প্রস্তাবনায় প্রকল্পটির প্রায় সব যন্ত্র ও আসবাব সামগ্রীর দাম অস্বাভাবিক ধরে কেনার প্রস্তাব করা হয়েছে। এ কারণে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় থেকে প্রস্তাবনাটি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে ফেরত পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। এর সঙ্গে জড়িতদের শাস্তির সুপারিশ করা হয়েছে।চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনায় (ডিপিপি) বালিশ কিনতে ২৭ হাজার ৭২০ টাকা এবং বালিশের কভার কিনতে ২৮ হাজার টাকা প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রস্তাবনায় দেখা যায়, একটি সার্জিক্যাল ক্যাপ ও মাস্কের দাম ৮৪ হাজার টাকা প্রস্তাব করা হয়েছে, যার সম্ভাব্য বাজার মূল্য ১০০ থেকে ২০০ টাকা। ৩০০-৪০০ টাকা মূল্যের একটি রেক্সিনের দাম প্রস্তাব করা হয়েছে ৮৪ হাজার টাকা। ২০-২৫ টাকা মূল্যে স্টেরাইল হ্যান্ড গ্লাভসের দাম ৩৫ হাজার টাকা, ২৫০-১০০০ টাকা মূল্যের কটন টাওয়েল ৫ হাজার ৮৮০ টাকা, ১৫-৫০ টাকার ৫ এমএল সাইজের টেস্টটিউব-গ্লাস মেড ৫৬ হাজার টাকা, ২৫০-৫০০ টাকার থ্রিপিন ফ্লাট ও রাউন্ড প্লাগযুক্ত মাল্টিপ্লাগ উইথ এক্সটেনশন কড ৬ হাজার ৩০০ টাকা, ৫০০-৭০০ টাকার রাবার ক্লথ ১০ হাজার টাকা, ১০০০-২০০০ টাকার হোয়াইট গাউনের দাম ৪৯ হাজার টাকা, ২০-৫০ টাকার ডিসপোজাল কু-কভার সাড়ে ১৭ হাজার টাকায় কেনার প্রস্তাব করা হয়েছে। এ নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়।জাহিদ মালেক বলেন, 'ডিপিপি প্রণয়নের সঙ্গে যারা যুক্ত ছিলেন, অবশ্যই তাদের আমরা দেখব। কেন তারা এখানে কিছু ভুল তথ্য দিল। আমরা মনে করি, প্রস্তাবটি ভুল হয়েছে। এমন ভুল আগামীতে যাতে না হয়, আমরা সেই ব্যবস্থা করব।'বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বিএমআরসি ও কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্টের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগের সচিব শেখ ইউসুফ হারুন, তিন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শহীদুল্লাহ সিকদার, অধ্যাপক ডা. সাহানা আখতার রহমান ও অধ্যাপক ডা. রফিকুল আলম, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. আতিকুর রহমান প্রমুখ বক্তব্য দেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী, জাহিদ মালেক, উন্নয়ন প্রকল্প, হরিলুট, উন্নয়ন প্রকল্পে হরিলুট, বালিশের দাম ২৭ হাজার
উত্তরপত্র জালিয়াতি: বরিশাল বোর্ডের আরও এক কর্মচারী সাসপেন্ড
প্রকাশ: ০২ অক্টোবর ২০১৯ | ১০:৩২
বরিশাল শিক্ষা বোর্ডে ২০১৯ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তরপত্র জালিয়াতির ঘটনায় আরও এক অফিস সহকারীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বোর্ডের পরীক্ষা শাখার অফিস সহকারী মনিরুল ইসলামকে বুধবার সাময়িক বরখাস্তের আদেশ দেওয়া হয়।উত্তরপত্র জালিয়াতির ঘটনায় গত ৮ আগস্ট পরীক্ষা শাখার আরেক সহকারী গোবিন্দ পালকে বরখাস্ত করা হয়। বোর্ড চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোহাম্মদ ইউনুস জানান, তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে মনিরুলকে বরখাস্ত করা হয়েছে।গত ১৭ জুলাই এইচএসসির ফল প্রকাশের সময় উত্তরপত্র জালিয়াতির অভিযোগে ১৮ শিক্ষার্থীর ফল স্থগিত রাখা হয়। তাদের বিরুদ্ধে উচ্চতর গণিত প্রথম পত্রের উত্তরপত্র জালিয়াতির অভিযোগ পাওয়া যায়। খাতা দেখার জন্য প্রধান পরীক্ষকের তৈরি উত্তরপত্রের সঙ্গে ১৮ পরীক্ষার্থীর উত্তরপত্র হুবহু মিলে যায়। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বরিশাল অঞ্চলের পরিচালককে প্রধান করে তদন্ত কমিটি করা হয়। তাদের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ১৮ পরীক্ষার্থীকে তিন বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। এ ঘটনায় পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক আনোয়ারুল আজিমের দায়ের করা মামলাটি বর্তমানে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ দেখছে।
এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তরপত্র, জালিয়াতি, বরিশাল শিক্ষা বোর্ড
পুলিশের এআইজি আনিসুরের অর্থের খোঁজে কেন্দ্রীয় ব্যাংক
প্রকাশ: ০২ অক্টোবর ২০১৯ | ১০:৩৭
পুলিশের এআইজি মো. আনিসুর রহমান ও তার পরিবারের অর্থের খোঁজে নেমেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। একটি গোয়েন্দা সংস্থার অনুরোধে আনিসুর, তার স্ত্রী, বাবা ও মায়ের অ্যাকাউন্টে কী পরিমাণ লেনদেন হয়েছে সে তথ্যও চাওয়া হয়েছে।কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) থেকে বুধবার বিভিন্ন ব্যাংকে এ-সংক্রান্তে চিঠি পাঠানো হয়। দুর্নীতি ও ক্যাসিনোর বিরুদ্ধে চলমান অভিযানের মধ্যে প্রথম কোনো সরকারি কর্মকর্তার অ্যাকাউন্ট তলবের তথ্য মিলল।বাংলাদেশ ব্যাংকের চিঠিতে আনিসুর রহমান ছাড়াও তার স্ত্রী শেরপুর সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাবেক সাংসদ ও আওয়ামী লীগের নেত্রী ফাতেমাতুজ জোহরা, বাবা নাফিস তাহিয়াত ও মা আনিসা ফাতেমার অ্যাকাউন্টের লেনদেনসহ যাবতীয় তথ্য চাওয়া হয়েছে। এসব ব্যক্তির নামে বর্তমানে বা ইতিপূর্বে কোনো হিসাব পরিচালিত হয়ে থাকলে তা জানাতে বলা হয়েছে। হিসাব খোলার ফরম, কেওয়াইসি প্রোফাইল, লেনদেনসহ যাবতীয় তথ্য পাঠাতে বলা হয়েছে।মো. আনিসুর রহমান বর্তমানে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের এআইজি (পিআইও) হিসেবে কর্মরত। এর আগে তিনি নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার ছিলেন। এর আগে ছিলেন যশোরের পুলিশ সুপার। তার বাড়ি গোপালগঞ্জের কাশিয়ানি থানার শংকরপাশা গ্রামে।দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানের ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হসিনা। সাম্প্রতিক অভিযানে যুবলীগের অনেক প্রভাবশালী নেতাকে আটক করেছে র‌্যাব। এ ছাড়া দুর্নীতি ও অবৈধ ক্যাসিনোর সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে অন্তত ২৫ জনের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজও করা হয়েছে।
দুর্নীতিবিরোধী অভিযান, পুলিশ কর্মকর্তার ব্যাংক হিসাব তলব, ব্যাংক হিসাব তলব
জাতীয় পার্টিকে দিয়ে মানুষ রাজনৈতিক শূন্যতা পূরণ করতে চায়: জিএম কাদের
প্রকাশ: ০২ অক্টোবর ২০১৯ | ১০:৫৪ | আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০১৯ | ০৮:৩২
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, রাজনীতিতে একটি শূন্যতা বিরাজ করছে। জাতীয় পার্টির প্রতি মানুষের আস্থা-বিশ্বাস রয়েছে। তারা জাতীয় পার্টিকে দিয়ে এই শূন্যতা পূরণ করতে চায়।বুধবার রাতে রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার শিরিন পার্কে জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের নিয়ে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।জিএম কাদের বলেন, রংপুরের মাটি এরশাদের ঘাঁটি, রংপুরের মাটি লাঙ্গলের ঘাঁটি, যা গোটা দেশবাসী বিশ্বাস করে। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান (এইচএম এরশাদ) জেলে থাকাকালেও রংপুরের মানুষ ভালোবেসে ৫টি আসনে তাকে জয়ী করেছে। ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে রংপুরের ২২টি আসনের মধ্যে ২১টি আসন লাঙ্গলের জয় হয়। রংপুরের মানুষ দীর্ঘদিন নির্যাতিত বঞ্চিত ছিল। রাজনৈতিক নেতৃত্ব এরশাদের মাধ্যমে ও রাজনৈতিক মঞ্চ তারা জাতীয় পার্টির মধ্যে পেয়েছে। রংপুর এরশাদের ঘাঁটি– সেটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও স্বীকার করে প্রয়াত চেয়ারম্যান এরশাদকে একাদশ নির্বাচনে এ আসন ছেড়ে দিয়েছিলেন। তিনি বলেন, 'কেন্দ্রীয় নেতা, সংসদ সদস্য ও স্থানীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে মতবিনিময়ের উদ্দেশ্য হলো আমরা ঐক্যবদ্ধ রয়েছি। জাতীয় পার্টির প্রার্থীর পক্ষে রয়েছি। জাতীয় পার্র্টিকে সকলে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। উপ-নির্বাচনে এ আসনে মহাজোটের প্রার্থী হয়ে জাতীয় পার্টির প্রার্থী সাদ এরশাদ লড়ছেন। আওয়ামী লীগ সমর্থন দেয়ায় আমাদের বিজয় সুনিশ্চিত বলে মনে করছি।'মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা, সংসদ সদস্য আহসান আদেলুর রহমান, ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী,  উপ-নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী রাহগীর আল মাহি সাদ এরশাদ, কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, প্রেসিডিয়াম সদস্য জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফখর-উজ-জামান, জাপা নেতা শাফিউর রহমান, নাজিম উদ্দিনসহ অন্যরা।
জাতীয় পার্টি, জিএম কাদের
নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মোটরসাইকেল পুকুরে, ইউপি চেয়ারম্যান নিহত
প্রকাশ: ০২ অক্টোবর ২০১৯ | ১২:৩১ | আপডেট: ০২ অক্টোবর ২০১৯ | ১৩:০০
মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পুকুরে পড়ে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার ফুকরা ইউপি চেয়ারম্যান ইমদাদুল হক মোল্লা (৪৬) নিহত হয়েছেন।বুধবার রাত সোয়া ৮টার দিকে কাশিয়ানী উপজেলার ভুলবাড়িয়া গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।নিহত ইমদাদুল হক মোল্লা কাশিয়ানী উপজেলার ভুলবাড়িয়া গ্রামের মোসলেম মোল্লার ছেলে। তিনি ফুকরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।কাশিয়ানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আজিজুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ইউপি চেয়ারম্যান ইমদাদুল হক মোল্লা রাতে মোটরসাইকেলে বাড়ি ফিরছিলেন। বাড়ির সামনে এলে এক পর্যায়ে তিনি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নিজের পুকুরের পানিতে মোটরসাইকেল নিয়ে পড়ে যান। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।তিনি জানান, পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই নিহতের মরদেহ পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
ইউপি চেয়ারম্যান নিহত, গোপালগঞ্জ
সিদ্ধিরগঞ্জে ১০০ কোটি টাকার নকল পণ্য জব্দ, আটক ৮
প্রকাশ: ০২ অক্টোবর ২০১৯ | ১৩:০৫ | আপডেট: ০২ অক্টোবর ২০১৯ | ১৩:২৭
সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল এলাকায় মুনস্টার মার্কেটিং প্রাইভেট লিমিটেড নামে একটি কারখানায় নারায়ণগঞ্জ জেলা ডিবি পুলিশ অভিযান চালিয়ে ১০০ কোটি টাকার নকল ইলেকট্রনিক্স পণ্যসহ বিভিন্ন প্রসাধন সামগ্রী উদ্ধার করেছে।উদ্ধারকৃত পণ্যসামগ্রীর মধ্যে রয়েছে সনি, সামস্যাং ও এলজি টিভি, ওভেন, বিভিন্ন কোম্পানির এসি, বডি স্প্রে, রুম স্প্রেসহ বিভিন্ন ধরনের নকল পণ্য। ডিবি পুলিশ এ সময় ওই কারখানার ম্যাক্স ইলেকট্রনিক্স ইন্ডাস্ট্রিজ নামে একটি গোডাউন থেকেও বিপুল পরিমাণ মালপত্র জব্দ করে।জব্দকৃত মালামাল  বুধবার রাত সাড়ে ৮টা থেকে নারায়ণগঞ্জ ডিবি পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান শুরু করে। অভিযানের সময় কারখানার হিসাবরক্ষকসহ ৮ জনকে আটক করা হয়। আটকরা হলো- সাইফুল ইসলাম, আমিনুল ইসলাম, সোহাগ, সিরাজুল ইসলাম, অহিদুল, রাজীব, মাইনুল ইসলাম ও মেহেদী হাসান। নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদ রাত পৌনে ১১টায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদ বলেন, চোখ ফাঁকি দিয়ে এ কারখানার মালিক দীর্ঘদিন ধরে নকল পণ্যসামগ্রী উৎপাদন করে বাজারজাত করে আসছিল। উদ্ধারকৃত পণ্যসামগ্রীর আনুমানিক মূল্য ১০০ কোটি টাকা। কারখানাটির মালিক বেলায়েত হোসেন।
নকল পণ্য জব্দ, সিদ্ধিরগঞ্জ
হেলমেট ব্যবহার না করায় ক্রিকেটার তাইজুলকে জরিমানা
প্রকাশ: ০২ অক্টোবর ২০১৯ | ১৩:১৫
হেলমেট ব্যবহার না করায় জাতীয় দলের ক্রিকেটার তাইজুল ইসলামকে দুইশ’ টাকা জরিমানা করেছে পুলিশ।নলডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম জানান, বুধবার বিকেলে নলডাঙ্গা থানার মোড়ে চেকপোস্ট বসিয়ে নিয়মিত তল্লাশির অংশ হিসেবে পুলিশ বিভিন্ন যানবাহন চেক করছিল। ওই সময় ক্রিকেটার তাইজুল ইসলাম মোটরসাইকেলে নাটোর শহর থেকে নলডাঙ্গা বাজার হয়ে পিপরুলের দিকে যাচ্ছিলেন।তিনি জানান, তাইজুল হেলমেট না পরার কারণে তাকে মোটরযান অধ্যাদেশের ১৩৭ ধারা অনুসারে দুইশ’ টাকা জরিমানা করা হয়। ঘটনাস্থলে কর্তব্যরত নলডাঙ্গা থানার উপ-পরিদর্শক নুরুজ্জামান তাকে জরিমানা করেন।তাইজুল স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, হেলমেট বাড়িতে রেখে বিকেলে ঘুরতে বেরিয়েছিলেন। এই অবস্থায় চেকপোস্টে পৌঁছালে তার দুইশ' টাকা জরিমানা করা হয়।
তাইজুল ইসলাম, ক্রিকেটার তাইজুল
এক কিংবা অনেক খোন্দকার নাসির
প্রকাশ: ০২ অক্টোবর ২০১৯ | ১৩:১৯ | আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০১৯ | ১১:১৭
অবশেষে গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য খোন্দকার নাসিরউদ্দিন পদত্যাগ করেছেন। সেখানেটানা ১২ দিন ধরে তার বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলছিল। তাদের সঙ্গেসংহতি জানিয়েছিলেন বেশ কিছু শিক্ষকও। অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা,নৈতিক স্খলনসহ নানা অভিযোগে অভিযুক্ত উপাচার্যের পদত্যাগই ছিলআন্দোলনকারীদের মূল দাবি।খোন্দকার নাসিরউদ্দিন দাপটের সঙ্গেই ছিলেন। এক মেয়াদ শেষ করে আরেক মেয়াদশুরু করেছিলেন। তবে শুরু থেকেই তার বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতি ওস্বেচ্ছাচারিতার পাশাপাশি যৌন হয়রানির অভিযোগ ছিল। ভর্তির বিনিময়ে টাকানেওয়ারও অভিযোগ ছিল। কিন্তু প্রকাশ্যে কথা বলার ক্ষমতা কারও ছিল না। তিনিযখন-তখন বিনা নোটিশে শিক্ষার্থীদের বহিস্কার করতেন, কারও প্রতিবাদের সাহসহয়নি। কিন্তু আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ও দৈনিক সান-এর বিশ্ববিদ্যালয়প্রতিনিধি ফাতেমা-তুজ জিনিয়াকে সাময়িক বহিস্কার ও তার সঙ্গে দুর্ব্যবহারেরখবর সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে পুঞ্জীভূত ক্ষোভের বারুদে আগুন জ্বলে ওঠে। আন্দোলনের মুখে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউসিজি) তদন্ত কমিটি গঠন করে।তদন্ত দল এসব অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে এবং তাকে প্রত্যাহারসহ আইনি ব্যবস্থাগ্রহণের সুপারিশ করেছে। এ খবর ছড়িয়ে পড়ার পর গত ২৯ সেপ্টেম্বর রাতেউপাচার্য খোন্দকার নাসিরউদ্দিন পুলিশি প্রহরায় ক্যাম্পাস ছাড়েন এবং পরদিনশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পদত্যাগপত্র জমা দেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদেরমধ্যে এখন আনন্দের হিল্লোল বইছে। স্বস্তি ফিরেছে উদ্বিগ্ন শিক্ষক ওঅভিভাবকদের মধ্যেও। আন্দোলনে মুখে উপাচার্যের সরে যাওয়ার ঘটনা নতুন নয়। এর আগে বরিশালবিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ইমামুল হককেও সরে যেতে হয়েছিল। সেখানেও এটিআন্দোলনকারীদের বিজয় বলে বিবেচিত হয়েছিল। কিন্তু পরিস্থিতির কতটুকু উন্নতিহয়েছে? বঙ্গবন্ধু প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে নাসিরউদ্দিন থাকলেন না; তার বিরুদ্ধেউত্থাপিত অভিযোগগুলোর ব্যাপারে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে কি-না, সেটিইএখন দেখার বিষয়। তার চেয়ে বড় কথা, যিনি নতুন উপাচার্য হয়ে আসবেন, তিনি কেমনমানুষ? এখন কাদেরকে উপাচার্য করা হচ্ছে? দলীয় বিবেচনায় 'দলদাস'দেরউপাচার্য করা হচ্ছে। যাদের যোগ্যতা ও সততা দুই-ই আজ প্রশ্নবিদ্ধ।জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের ছাত্রনেতাদের মধ্যে কোটি টাকাবণ্টনের অভিযোগ এখন মানুষের মুখে মুখে। দেশে এমন উপাচার্যও আছেন, যিনিকর্মস্থলে থাকেন না। ঢাকায় থাকা জায়েজ করতে জেলায় অবস্থিতবিশ্ববিদ্যালয়গুলো রাজধানীতে লিয়াজোঁ অফিস খুলেছে। কেউ কেউ অন্য কাজেব্যস্ত থাকেন। অথচ উপাচার্য একটি সার্বক্ষণিক পদ। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪ জন উপাচার্যের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতিরঅভিযোগের তদন্ত চলছে। এই হলো উপাচার্যদের ভাবমূর্তি! সবাই যে অসৎ বাঅযোগ্য, তা বলছি না। নিশ্চয়ই কিছু সৎ ও যোগ্য ব্যক্তিও উপাচার্য পদে আসীনআছেন; তারাও সতীর্থদের কাণ্ডকারখানা দেখে হয়তো লজ্জায় মুখ ঢাকছেন।দলের যোগ্য লোকদের উপাচার্য করলে আপত্তি ছিল না। সমস্যা হচ্ছে, যোগ্যদেরআত্মমর্যাদা আছে। তারা দূরে দূরে থাকেন। আর স্তাবকরা নেতাদের পাশে ঘুরঘুরকরেন। সদা তোষামোদিতে নিবেদিত থাকেন। তাই হয়তো তাদের ভাগ্য খুলে যায়, যাজাতির জন্য দুর্ভাগ্যে পরিণত হয়।উপাচার্যের মধ্যে আমরা 'আচার্য'র সন্ধান পেতে চাই। আচার্যের আভিধানিক অর্থএমন এক ব্যক্তিত্ব, যার মধ্যে ন্যায়পরায়ণতা ও পাণ্ডিত্যের সমন্বয় ঘটেছে।অর্থাৎ তিনি হবেন একাধারে ন্যায়পরায়ণ ও পণ্ডিত। এমন উপাচার্যের কথা আমাদেরজানা আছে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯০৬ থেকে ১৪ ও ২১ থেকে ২৪ সাল পর্যন্তউপাচার্য ছিলেন আশুতোষ মুখোপাধ্যায়। তাকে প্রতিনিয়ত ব্রিটিশের ভেদনীতিরবিরুদ্ধে লড়তে হয়েছে। সুভাষ বসুকে 'রাসটিকেট' দেওয়ার বিরোধিতা করেছিলেন।তিনি সুভাষকে স্কটিশ চার্চ কলেজে পড়ার সুযোগও করে দিয়েছিলেন। ঢাকাবিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছিলেন স্যার এএফ রহমান, ড. রমেশচন্দ্র মজুমদার,বিচারপতি মোহাম্মদ ইব্রাহীম, ড. মাহমুদ হোসেন, বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী,ড. মুজাফফর আহমদ চৌধুরী, ড. আবদুল মতিন চৌধুরীর মতো পণ্ডিত ও বিদগ্ধজন।তখনও উপাচার্যের পদত্যাগের ঘটনা ঘটেছে। পাকিস্তান আমলে ঢাকাবিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মাহমুদ হোসেন পদত্যাগ করেছিলেন। তৎকালীন পূর্বপাকিস্তানের গভর্নর মোনায়েম খান রাজনীতিসংশ্নিষ্ট কয়েকজন ছাত্রকেবিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিস্কারের জন্য তার ওপর চাপ দেন। তিনি চাপের কাছে মাথানত না করে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দেন। তিনি সম্মানিত হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ছেড়েছিলেন। আর খোন্দকার নাসিরউদ্দিন অপমান ও কলঙ্ক নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ছাড়লেন।বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের উপাচার্যবিরোধী আন্দোলনআমরাএখন কেমন ভিসি চাই? ড. মাহমুদ হোসেনের মতো আত্মমর্যাদাসম্পন্ন, নাখোন্দকার নাসিরউদ্দিনের মতো আত্মমর্যাদাহীন- সেটিই আজ ভাববার বিষয়। বিদগ্ধ ওআত্মমর্যাদাসম্পন্ন উপাচার্য পেতে হলে দলীয় সংকীর্ণতা ছাড়তে হবে। সেইসঙ্গেউপাচার্য নিয়োগের একটা নিয়ম-নীতির কথাও ভাবতে হবে।স্বাধীনতাউত্তরকালে ১৯৭৩ সালে বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ হয়েছিল। এতেগণতান্ত্রিক উপায়ে উপাচার্য নিয়োগের বিধান আছে। তবে এ আইন অনুযায়ী কেবলঢাকা, জাহাঙ্গীরনগর, চট্টগ্রাম ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালিত হচ্ছে। এইচারটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান। অন্য সব বিশ্ববিদ্যালয় সরকারি সংস্থারমতো পরিচালিত হয়। আমি বুঝতে পারি না- কেন এক দেশে দুই বিধান? '৭৩-এরবিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ (আইন) অনুযায়ী শিক্ষকরা উপাচার্যের তিন সদস্যেরপ্যানেল নির্বাচিত করবেন। সেখান থেকে আচার্য (রাষ্ট্রপতি) একজনকে উপাচার্যনিয়োগ দেবেন। এ প্রক্রিয়া বিতর্কিত হয়ে পড়েছে। এর ফলে শিক্ষকদের মধ্যেদলবাজি শুরু হয়েছে। পদ-পদবির লোভে শিক্ষকরা দলদাসে পরিণত হয়েছেন। শুধু তাইনয়, দল ভারি করতে শিক্ষক পদে অযোগ্যদের নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। ঢাকাবিশ্ববিদ্যালয়ের কথাই ধরা যাক। কোনো কোনো বিভাগে অতিরিক্ত শিক্ষক নিয়োগদেওয়া হয়েছে। এমন বিভাগও আছে, এক সেমিস্টার তিনজনে ভাগ করে পড়ান। এখনদলবাজি আর তোষামোদি প্রতিযোগিতায় মত্ত হওয়ায় শিক্ষার মান নিম্নগামী।টাইমস হায়ার এডুকেশন জরিপে বিশ্বের এক হাজার বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যেবাংলাদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয় নেই। এক হাজারের মধ্যে ভারতের ৩২টিবিশ্ববিদ্যালয় আছে। প্রায় 'ব্যর্থ রাষ্ট্র' হওয়ার পর্যায়ে উপনীতপাকিস্তানেরও ৩টি বিশ্ববিদ্যালয় আছে। আছে নেপালেরও একটি বিশ্ববিদ্যালয়। এপ্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন উপ-উপাচার্যের টিভি সাক্ষাৎকারদেখছিলাম। তার কথা, পাশ্চাত্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর একদিনের ব্যয় নাকি ঢাকাবিশ্ববিদ্যালয়ের এক বছরের সমান। তিনি অবশ্য ভারত, পাকিস্তান ও নেপালের একহাজারে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ব্যয়ের সঙ্গে তুলনা করলেন না। তিনি একটুখোঁজ নিলে জানতে পারতেন, হাজারে থাকা কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়কে ঢাকাবিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ে কম বরাদ্দে চলতে হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগের ক্ষেত্রে একটি অভিন্ন প্রক্রিয়া অনুসরণকরা জরুরি। নানা বিধান আছে। তবে আমার বিবেচনায় উপযুক্ত হচ্ছে, রাষ্ট্রপতিদেশের বরেণ্য শিক্ষাবিদদের নিয়ে একটি অনুসন্ধান কমিটি বা সিলেকশন কমিটি গঠনকরবেন। তারাই রাষ্ট্রপতির পক্ষে প্রাথমিক সিলেকশন করবেন। বিশ্ববিদ্যালয়েরভেতরে বা বাইরে থেকে উপাচার্য নিয়োগ করার সুযোগ থাকবে। এ প্রসঙ্গে দিল্লিরজওয়াহেরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের (জেএনইউ) এক উপাচার্যের অভিজ্ঞতা উল্লেখকরতে চাই। ভদ্রলোকের নাম মনে পড়ছে না। কয়েক বছর আগে জেএনইউতে গিয়েছিলাম।সাংবাদিক-লেখক আবুল মোমেন ও শাহীন রেজা নূরও ছিলেন। কথা প্রসঙ্গে ওইউপাচার্য বলছিলেন, বাইরের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পোস্ট ডক্টরিয়াল সুপারভাইজারহিসেবে তার যাওয়ার আয়োজন ঠিকঠাক। বিমানের টিকিটও কাটা হয়েছে।ব্যাগ-বোঁচকা বাঁধছেন। এমন সময় তার জেএনইউর উপাচার্য হওয়ার প্রস্তাব এলো। এসম্পর্কে পূর্বাহেপ্ত নূ্যনতম আভাস-ইঙ্গিতও ছিল না। তিনি বললেন, পূজনীয়ব্যক্তিরা তাকে মনোনীত করেছেন। মান্যবরদের এ অভিপ্রায় তার পক্ষে উপেক্ষাকরা সম্ভব ছিল না। তিনি জেএনইউর উপাচার্য পদে যোগ দেন। অবশ্য মোদি সরকারেরআমলে আগের ঐতিহ্য আর নেই। উল্টাপাল্টা ব্যাপার ঘটছে সেখানেও।আমাদের এখন সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয়- বিশ্ববিদ্যালয়কে জ্ঞানচর্চা ও গবেষণারক্ষেত্রে পরিণত করতে আমরা কতটুকু আগ্রহী? আর তা করতে হলে যে কোনো মূল্যেইহোক, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দলবাজি ও দুর্নীতির মূলোৎপাটন করতে হবে; উপাচার্য ওশিক্ষক নিয়োগে মেধা এবং দক্ষতাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। একই সঙ্গে নজররাখতে হবে; মেধাবী ও দক্ষরাও যেন সুযোগ পেয়ে নাসিরউদ্দিন না হয়ে ওঠেন। লেখক ও সাংবাদিকask_bangla71@yahoo.com
বলা না-বলা, আবু সাঈদ খান
মর্যাদাপূর্ণ অভিবাসন খাতেই অগ্রগতি
প্রকাশ: ০২ অক্টোবর ২০১৯ | ১৩:২১
বাংলাদেশে জিডিপি গ্রোথ রেট এখন ৮ শতাংশের ওপরে (সরকারি হিসাবমতে)।রফতানি আয়ের ৮১ শতাংশই আসে গার্মেন্টস থেকে এবং আমাদের জিডিপির প্রবৃদ্ধিরহারও অন্য যে কোনো দেশের চেয়ে বেশি। বর্তমান আর্থিক ব্যবস্থাপনায় এ দেশেওধনীরা আরও ধনী হচ্ছে। ধনীর সংখ্যা বৃদ্ধির তালিকাতেও ১ নম্বরে বাংলাদেশ।ব্যাংকের টাকা পাচার হয়ে চলে যাচ্ছে বিদেশে। সবচেয়ে বেশি আয়-বৈষম্যের দেশেরতালিকাতেও বাংলাদেশের অবস্থান ওপরের দিকে। তাই প্রশ্ন জাগে, আমরা কি এইডাচ্‌ ডিজিজে আক্রান্ত হয়ে গেছি? কেননা আমাদের অর্থনৈতিক উন্নয়নও নির্দিষ্টএকটি সেক্টর অর্থাৎ আরএমজি খাতকে নিয়েই অগ্রসর হচ্ছে। বাংলাদেশের এই খাতেমজুরি অত্যন্ত নিম্নতর হওয়ায় চীনকেও এখন আমাদের সঙ্গে পাল্লা দিতে কষ্টহচ্ছে। যে কারণে বাংলাদেশে প্রচুর পরিমাণে অর্ডার আসছে। এভাবে আগামী বছরগুলোতেবাংলাদেশের আয় বাড়তে থাকবে। প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, আমাদের এই রফতানি আয়েরসেক্টরের ভবিষ্যৎ কি সুরক্ষিত? কেননা এই সেক্টরটা বেদুইনদের মতো একদেশ থেকেআরেক দেশে ঘুরে বেড়ায় এবং এর বেঁচে থাকা নির্ভর করে দুটি বিষয়ের ওপর- লোমার্কিং কস্ট ও লো শিপমেন্ট কস্ট। ইতিমধ্যে চীন আফ্রিকার সমুদ্র-তীরবর্তীঅঞ্চল সমৃদ্ধ দেশগুলোর অবকাঠামো, যেমন- বড় বড় ব্রিজ, পাওয়ার পল্গ্যান্ট,সমুদ্রবন্দর, রাস্তাঘাট উন্নয়নের জন্য এ বছর ৫০ বিলিয়ন ডলার ঋণ দিয়েছে।চীনের ইচ্ছা আফ্রিকার সমুদ্রবন্দর ও সস্তা শ্রম নিয়ে ক্রমান্বয়ে সেখানে গড়েতুলবে ব্যাপক গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি ও বস্ত্রশিল্প। চীন মনে করছে, আফ্রিকাথেকে আমেরিকা ও ইউরোপ কাছাকাছি হওয়ায় শিপিং কস্ট কমে যাবে। ফলে ওখানকারবায়াররা বাংলাদেশ থেকে রেডিমেট পোশাক আমদানি না করে আফ্রিকা থেকে আমদানিকরবে। ফলে বাংলাদেশের এই রফতানি খাতটি একেবারেই ভেঙে পড়তে পারে। তাহলে এক্ষেত্রে বিকল্প ব্যবস্থা কী? আমরা জানি, ভিয়েতনাম ইতিমধ্যে হেভিইন্ডাস্ট্রিতে কনভার্ট হয়ে গেছে। ইন্ডিয়া তথ্যপ্রযুক্তিতে খুবই স্ট্রংজায়গায় চলে গেছে। ওরা ব্যাকআপ তৈরি করেছে। তাই আমাদেরও বিকল্প আয়ের সংস্থানকরতে হবে। এই প্রেক্ষাপটে আমাদের এখন একটি মাত্র খাত তথা আরএমজি খাতের ওপরনির্ভরশীলতা কমিয়ে অন্যান্য রফতানি আয়ের খাতকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। বিশেষকরে অভিবাসী খাতকে সর্বাগ্রে অগ্রাধিকার দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। কেননা২০১৮-১৯ অর্থবছরে যেখানে তৈরি পোশাক খাত থেকে ৩৪.১৩ বিলিয়ন ডলার আয় হয়েছে,সেখানে একই অর্থবছরে অভিবাসন খাত থেকে আয় হয়েছে ১৬.৪২ বিলিয়ন ডলার।জিডিপিতে বর্তমানে পোশাক খাতের অবদান বেশি হলেও ফরেন রেমিট্যান্সের অবদান১২ শতাংশের মতো। আরএমজি খাত থেকে ৩৪.১৩ বিলিয়ন ডলার আয় হলেও ১০-১২ বিলিয়নডলার চলে যায় এ খাতের জন্য ব্যবহূত কাঁচামাল আমদানিতে। তারপরও এ খাতেসরকারি প্রণোদনা দেওয়া হয় হাজার কোটি টাকা। ২০১৯-২০ অর্থবছরে ২৮২৫ কোটিটাকার আর্থিক প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া স্বল্প সুদে ঋণ প্রদান, শিল্পজোন তৈরি করা, গ্যাস-বিদ্যুৎ সুবিধা প্রদান, করপোরেট কর ও রফতানি শুল্ক্ককমানো, অবকাঠামোগত সুবিধা প্রদানসহ আরও অনেক প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ সুবিধা সরকারথেকে এই সেক্টর পেয়ে থাকে। পাশাপাশি তুলনামূলক বিচারে বাংলাদেশ অভিবাসীখাত এমন একটি খাত, যা বিনা বিনিয়োগে এবং ব্যক্তির নিজস্ব প্রচেষ্টায় উঠেদাঁড়িয়েছে। এ খাতে সরকারের বিনিয়োগ অতি সামান্য হলেও এ খাতের অর্জিত অর্থটেকসই উন্নয়নে সরাসরি অবদান রাখছে। গ্রামীণ অর্থনীতিকে সচল রেখেছে।অন্যদিকে আরএমজি খাতের আয় দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিতে প্রভাব রাখলেও টেকসইউন্নয়নে এর ভূমিকা কতটুকু, তা বিবেচনার অবকাশ রয়েছে। কেননা শ্রমিক অসন্তোষ,বৈষম্যমূলক মজুরি, নিম্নমানের কাজের পরিবেশ, মানসম্মত অবকাঠামোর অভাবকাটিয়ে উঠতে পারেনি এই আরএমজি খাত। আবার এখানে ঋণখেলাপির সংখ্যা বৃদ্ধি ওবিদেশের বাজার হাতছাড়া হওয়ার চ্যালেঞ্জও রয়েছে। তাই দেশের টেকসই উন্নয়নে এরঅবদান ক্রমশ সংকুচিত হয়ে আসছে। অন্যদিকেসারাবিশ্বে বাংলাদেশের এক কোটি ২৫ লাখ মানুষ বিভিন্ন কর্মে নিয়োজিত আছে।আবার প্রতিবছর গড়ে প্রায় ৫-৬ লাখ লোক বিদেশে গেলেও মাত্র এক-তৃতীয়াংশপ্রশিক্ষিত। বাকিরা আধা দক্ষ ও অদক্ষ হিসেবে বিদেশে যায়। বিশেষ করে জনশক্তিপ্রেরণ খাতের সঙ্গে সম্পৃক্ত উদ্যোক্তাদের নিজস্ব উদ্যোগে সৃষ্ট কিছুকারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে ও সরকারের টিটিসি থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে যতটাসম্ভব দক্ষ কর্মীরা বিভিন্ন দেশে যাচ্ছে। অভিবাসন খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্টকেউই দক্ষ কর্মী গড়ে তোলার জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো সুবিধা, ট্রেনিংসেন্টার স্থাপনের জন্য বিশেষ অঞ্চল বা জমি বরাদ্দ, ব্যাংক ঋণ সুবিধাইত্যাদি কোনো ধরনের সরকারি-বেসরকারি সুবিধা পায় না। অভিবাসন খাতটি একটিসম্ভাবনাময় খাত হওয়া সত্ত্বেও এ খাতের প্রতি সরকারের নজর বা পৃষ্ঠপোষকতাতেমন নেই, যা আছে আরএমজি খাতে। অথচ এ খাতটিতে সরকারের সার্বিক পৃষ্ঠপোষকতা ওসহযোগিতা যদি আরএমজি খাতের মতো হতো, তাহলে এ খাতটি বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনেআরএমজি খাতকে ছাড়িয়ে যেত। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) বাংলাদেশের আবাসিকপ্রতিনিধি মনমোহন প্রকাশ যথার্থই বলেছেন, রফতানি বহুমুখীকরণ কিংবা বিদেশেদক্ষ জনশক্তি প্রেরণ করতে না পারলে অর্থনীতির উচ্চ প্রবৃদ্ধির ধারা ধরেরাখা সম্ভব হবে না। তাই কোনোভাবেই রফতানি আয়ের ক্ষেত্রে ভেনিজুয়েলার মতোনির্দিষ্ট একটা সেক্টরকে কেন্দ্র করে আমরা এগোতে চাই না। রফতানির বিকল্পখাতগুলোতেও ব্যাপকভাবে সচল করতে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা ও প্রণোদনা বৃদ্ধি করাআশু প্রয়োজন। এ প্রসঙ্গে জনশক্তি রফতানি খাত আমাদের বিকল্প আয়ের একটা বিশালউৎস হতে পারে। এ খাতটিকে যদি সমৃদ্ধ করা যায় অর্থাৎ দক্ষ জনশক্তি তৈরি করেবিদেশে প্রেরণ করা যায়, তাহলে এ খাত থেকে আমাদের বর্তমানের চেয়ে দ্বিগুণফরেন রেমিট্যান্স আয় বেড়ে যাবে। কেননা বিদেশে আমাদের জনশক্তির বিপুল চাহিদারয়েছে। বলা হয়ে থাকে, দক্ষ জনশক্তি এক বিশাল জনসম্পদ। কিন্তু দুঃখের বিষয়হলো, বাংলাদেশ ব্যাংকের এক জরিপ অনুযায়ী- বাংলাদেশ থেকে বিদেশে যাওয়াকর্মীদের ৬২ শতাংশ অদক্ষ, ৩৬ শতাংশ আধাদক্ষ এবং ২ শতাংশ মাত্র দক্ষ। যেকারণে এসব অভিবাসন কর্মীর মজুরিও কম। তাই এই জনগণকে দক্ষ জনসম্পদে পরিণতকরতে হলে অবশ্যম্ভাবী আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী সব ধরনের টেকনিক্যাল বাকারিগরি, ইঞ্জিনিয়ারিং, মেডিকেল ও নার্সিং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো গড়ে তুলতেহবে। উন্নত দেশগুলোতে ডাক্তার, নার্স ও বিভিন্ন কারিগরি জ্ঞানসমৃদ্ধ দক্ষজনশক্তির বিপুল চাহিদা থাকা সত্ত্বেও আমরা ওই দেশগুলোতে জনশক্তি রফতানিকরতে পারছি না। আবার কোনোভাবে প্রেরণ করা গেলেও ওই দেশে গিয়ে তাদের একইবিষয় বা কাজের ওপর এক অথবা দুই বছর উন্নত ট্রেনিং বা প্রশিক্ষণ নিতে হয়। মনে রাখতে হবে, আমাদের দেশটি জনসংখ্যার তুলনায় আয়তনে খুবই ছোট। বিপুলজনসংখ্যার এই দেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। কারণএখানে ভারী শিল্পের বিকাশ না ঘটায় জনসংখ্যার একটা বিশাল অংশকে কোনো কাজেলাগানো যাচ্ছে না। অন্যদিকে বিশ্বের অনেক দেশ আছে, যাদের ভূমি, অবকাঠামোগতসুবিধাসহ শিল্পের ব্যাপক প্রসার ঘটা সত্ত্বেও পর্যাপ্ত জনশক্তির অভাবরয়েছে। সে ক্ষেত্রে দক্ষ অভিবাসন খাতই পারে বিকল্প কর্মসংস্থান সৃষ্টিতেএকমাত্র অবদান রাখতে। তাছাড়া সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় যে নতুন এক কোটি৮৭ লাখ লোকের কর্মসংস্থানের কথা বলা হয়েছে, সেখানে জনশক্তি খাতের কথাঅগ্রগণ্য হিসেবে বিবেচিত হলেও প্রত্যেকটি বাজেটে এর প্রতিফলন দেখা যায় না।বাজেটে কার্যত এ খাতের উন্নয়নে তেমন বরাদ্দ থাকে না, কোনো প্রকার প্রণোদনাবা ইনসেনটিভও আমরা দেখতে পাই না। অথচ এ খাতটি আমাদের অর্থনীতির অন্যতমচালিকাশক্তি এবং বলা যায়, অর্থনীতির বুনিয়াদ রচনা করেছে। এ খাত থেকেপ্রতিবছর অতি সহজে যে পরিমাণ ফরেন রেমিট্যান্স আসে, তা আর কোনো খাত থেকেআসে না। তাই এ খাতের সঙ্গে যারা জড়িত, বিশেষ করে রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোকেপ্রাপ্য মর্যাদা, সুযোগ-সুবিধা, আর্থিক প্রণোদনা ইত্যাদি সহযোগিতা যদিসরকার থেকে দেওয়া হতো, তাহলে এই খাতটি বাংলাদেশের অর্থনীতির সম্ভবনাকেঅধিকতর সমৃদ্ধির জায়গায় নিয়ে যেতে পারত বলে আমরা বিশ্বাস করি।তবে আমরা আশাহত হতে চাই না। জনশক্তি কর্মসংস্থান প্রশিক্ষণ ব্যুরোরমহাপরিচালক সেলিম রেজা এখন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন। আমরা জানি, তিনি একজন অত্যন্তদক্ষ-যোগ্য-ধীশক্তিসম্পন্ন মানুষ। ইতিপূর্বে তিনি জনশক্তি প্রেরণ খাতকেস্বচ্ছ ও জবাবদিহির জায়গায় আনার প্রচেষ্টা গ্রহণসহ নিরাপদ অভিবাসননিশ্চিতকল্পে অনেক অবদান রেখেছেন। অভিবাসন ব্যবস্থাপনার ও দক্ষতা উন্নয়নপ্রশিক্ষণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছেন। একই সঙ্গে দীর্ঘছয়বার সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত সজ্জন, প্রজ্ঞাবান রাজনীতিক ইমরান আহমেদপ্রথমবারের মতো এই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী হিসেবে ইতিমধ্যেইমন্ত্রণালয়ের কাজে স্বচ্ছতা ও গতিশীলতা আনয়নের নিরলস প্রচেষ্টা গ্রহণকরেছেন। ভবিষ্যতে মন্ত্রী ও সচিবের বলিষ্ঠ নেতৃত্বে যুগোপযোগী সিদ্ধান্তগ্রহণের মাধ্যমে দক্ষ জনসম্পদ তৈরি ও নিরাপদ অভিবাসন প্রক্রিয়া আরওত্বরান্বিত হবে। এমনকি পরিবর্তিত পরিস্থিতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে ফরেনরেমিট্যান্স আয়ের ক্ষেত্রে জনশক্তি রফতানি খাতকে এক নম্বর খাত হিসেবেপ্রতিষ্ঠা করার প্রয়োজনীয় উদ্যোগ ও পদক্ষেপ নেবেন বলে আমরা আশাবাদী হতেচাই। তাদের হাত ধরেই রফতানিমুখী তৈরি পোশাক শিল্পের মতো অভিবাসী খাতটিও এখনথেকে সরকারের সুযোগ-সুবিধা, আর্থিক প্রণোদনাসহ সম্মান-মর্যাদা ও গুরুত্বনিশ্চিত হবে বলেও বিশ্বাস করতে চাই। আর এভাবেই কেবল অভিবাসী খাতটিই বিকল্পকর্মসংস্থানের উৎস হিসেবে শিল্পের মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত হবে এবংদারিদ্র্য বিমোচনসহ দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক বৈষম্য কমিয়ে আনতে সক্ষমহবে। ফলে সমৃদ্ধ হবে সামগ্রিক অর্থনীতি ও বাংলাদেশের জনপদ।চেয়ারম্যান, ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি এবং শ্রম অভিবাসন বিশ্নেষক
জনশক্তি
কিডনি বিক্রি করতে হবে না উম্মেহানির
প্রকাশ: ০২ অক্টোবর ২০১৯ | ১৩:২২
ঋণ থেকে মুক্তি পেতে চেয়েছিলেন তিনি। কোনো অবলম্বন নেই তার, নেই কোনোছায়াও। অগত্যা নিজের দেহের একটা অংশ, একটা কিডনি বিক্রি করতে চেয়েছিলেন।দ্বারে দ্বারে এর জন্য ঘুরেও ছিলেন। নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার চাপিলাইউনিয়নের মৃত জাকারিয়ার স্ত্রী উম্মেহানি বেগমের (৫৭) এভাবে কেটেছে বেশক'দিন। তবে এখন আর কিডনি বিক্রি করতে হবে না তাকে, যেতে হবে না আর কারওকাছে। সমাধান দিয়েছেন গুরুদাসপুরের ইউএনও তমাল হোসেন।দিনমজুর ছিলেন উম্মেহানির স্বামী জাকারিয়া। দরিদ্র মানুষ। অন্যের পুকুরধারে একচালা টিনের ঘরে ছিল তাদের আবাস। সঙ্গে এক ছেলে এক মেয়ে নিয়ে তাদেরপুরো সংসার। ছেলেটা গুরুদাসপুর কলেজ থেকে স্নাতক পাস করেছেন ক'দিন আগে।ভেবেছিলেন ছেলে হাল ধরবে এবার। এর মধ্যে স্বামী আর নিজে দু'জনই হনপক্ষাঘাতে আক্রান্ত। গ্রামীণ ব্যাংক, ঠেঙ্গামারা মহিলা সবুজ সংঘ ও ব্র্যাকথেকে দেড় লাখ টাকা ঋণ করেন চিকিৎসার জন্য। ওই চিকিৎসাধীন অবস্থায়ই স্বামীমারা যান মাস তিনেক আগে। উম্মেহানি ঢাকায় দীর্ঘ চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফেরেনকিছুটা সুস্থ হয়ে। আবার ঋণ নেন তিনি, কোনো এক সুদের মহাজনের কাছ থেকে, ৩০হাজার টাকা। মেয়ে জুলিয়াকে বিয়ে দেন তা দিয়ে। কোনো চাকরি হচ্ছিল না ছেলে হারিস উদ্দিনের। ঋণ নেন তিনি আবার। এবার পুরোদুই লাখ। ছেলেকে ঢাকায় গিয়ে পাঠাও-উবারে মোটরসাইকেল চালানোর জন্য কিনে দেনএকটি মোটরসাইকেল ও একটি স্মার্টফোন। উবারের আয়ে সংসার খরচ মিটিয়ে ঋণেরকিস্তি পরিশোধ করা অসম্ভব হয়ে যাচ্ছিল তার। এর মধ্যে অসুস্থ মাকে দেখতে এলেমহারাজপুরের এক পাওনাদার ৭০ হাজার টাকার জন্য আটকে দেন হারিসেরমোটরসাইকেল।ঋণের পর্ব দাঁড়ায় এবার চতুর্থ। অন্য এক ব্যক্তি থেকে ৭০ হাজার টাকা, ছাড়িয়েআনেন ছেলের মোটরসাইকেল। একইদিনে কিস্তির টাকার জন্য তার পালিত ৫টি ছাগলনিয়ে চলে যায় অপর পাওনাদার। সব মিলিয়ে ঋণের পরিমাণ দাঁড়ায় তিন লাখ ১৫হাজার।চোখে অন্ধকার নিয়ে আলোর আশায় অবশেষে উম্মেহানি সিদ্ধান্ত নেন- কিডনি বিক্রি হবে একটা। উম্মেহানির সিদ্ধান্তের ব্যাপারটা ছড়িয়ে পড়ে চারপাশে। গুরুদাসপুরের ইউএনওতমাল হোসেনও শুনে ফেলেন তা। মঙ্গলবার দুপুরে এলাকায় যান তার সন্ধানে।উম্মেহানির বাড়িতে বসে তার জীবনে ঘটে যাওয়া সকল ঘটনা শোনেন মনোযোগ দিয়ে।জানতে চান কার কার কাছ থেকে ঋণ নিয়েছেন তিনি। তাৎক্ষণিকভাবে উম্মেহানিবেগমকে কিছু নগদ অর্থ প্রদানও করেন।অফিসে ফিরে আসেন তমাল হোসেন। উম্মেহানির ঋণ নেওয়া সকল এনজিও প্রতিনিধি এবংব্যক্তিগত ঋণদাতাদের আমন্ত্রণ জানান নিজ কার্যালয়ে। গতকাল বুধবার সবাই এলেউম্মেহানির জীবনে ঘটে যাওয়া বিস্তারিত ঘটনা খুলে বলেন তিনি সবাইকে, অনুরোধজানান তার সমুদয় ঋণ মাফ করে দেওয়ার। ইউএনও তমাল হোসেনের অনুরোধে সকলব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান মাফ করে দেন উম্মেহানির সকল ঋণ।সবশেষে কিছু জানতে চাওয়া উম্মেহানির কাছে। অশ্রুসজল চোখে শুধু ফ্যাল ফ্যালকরে চেয়ে থাকেন তখন তিনি। আনন্দে বাকরুদ্ধ, বাষ্পরুদ্ধ ঠোঁটে বলতে পারেননা কিছুই। ইউএনও তমাল হোসেন বলেন, 'সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে উম্মেহানির খোঁজ নিয়েছিএবং সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করেছি।' উম্মেহানির ঋণ মাফ করে দেওয়া এনজিও এবংব্যক্তিদের ধন্যবাদ জানাতে জানাতে তিনি বলেন, 'সামাজিক মানুষ হিসেবেআমাদের সবার এমনটাই করা উচিত।'
কিডনি বিক্রি
ইভিএমের পক্ষে ৫ প্রার্থী, বিএনপির বিরোধিতা
প্রকাশ: ০২ অক্টোবর ২০১৯ | ১৩:২৩
রংপুর-৩ (সদর) আসনের উপনির্বাচনে ইভিএমে ভোটগ্রহণের পক্ষে ৫ প্রতিদ্বন্দ্বীপ্রার্থী। তবে বিএনপির পক্ষ থেকে ঘোর বিরোধিতা করা হচ্ছে। ইভিএম সম্পর্কেভোটারদের মাঝে সচেতনতা বাড়াতে নির্বাচন কমিশন জোরালো পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, আগামী ৫ অক্টোবররংপুর-৩ আসনের উপনির্বাচনে সিটি করপোরেশন এলাকার ২৫টি ওয়ার্ড ও ৫টিইউনিয়নের ১৭৫টি ভোটকেন্দ্রে ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হবে। এ জন্য সবধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন। ইভিএমের মাধ্যমে নির্বিঘ্নেভোট নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার ১৭৫টি কেন্দ্রেই মব ভোটিং করা হবে। আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা জিএম সাহাতাব উদ্দিন জানান, ইভিএমের মাধ্যমেরংপুর সদরবাসী গত জাতীয় সংসদ ও সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন।ইভিএমে ভোটদান সহজ করতে আমরা প্রচার-প্রচারণাসহ সংশ্নিষ্টদের প্রশিক্ষণদিয়ে যাচ্ছি। প্রার্থীদের ইভিএমে ভোটগ্রহণের পদ্ধতি দেখানো হয়েছে। এদিকে ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণে ৫ প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর আপত্তি না থাকলেও এর বিপক্ষে অনড় বিএনপি। জাতীয় পার্টির প্রার্থী সাদ এরশাদ (লাঙ্গল) বলেন, ইভিএম একটি আধুনিকযন্ত্র। ইভিএমের মাধ্যমে স্বচ্ছতা ও দ্রুততার সঙ্গে ভোটগ্রহণ করা যাবে। আমিইভিএম ব্যবহারের পক্ষে রয়েছি। স্বতন্ত্র প্রার্থী এরশাদের ভাতিজা হোসেন মকবুল শাহরিয়ার আসিফ (মোটরগাড়ি)বলেন, যেহেতু এটি সরকার গঠনের নির্বাচন নয়। তাই এ আসনে সরকার কোনোহস্তক্ষেপ করবে না বলে আমি মনে করছি। নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারে আমার কোনোদ্বিমত নেই। খেলাফত মজলিসের প্রার্থী তৌহিদুর রহমান রাজু (দেওয়াল ঘড়ি) বলেন, সরকার একটিস্বচ্ছ, নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠান করবে বলে প্রত্যাশা করছি। ইভিএম নিয়েআমারও কোনো শঙ্কা নেই। এ নির্বাচনে গণফ্রন্টের কাজী মো. শহিদুল্লাহ (মাছ) ও ন্যাশনাল পিপলসপার্টির প্রার্থী শফিউল আলম (আম) ইভিএম ব্যবহারের পক্ষেই তাদের মত দিয়েছেন।অপরদিকে বিএনপির প্রার্থী রিটা রহমান ও দলের কেন্দ্রীয় নেতারা ইভিএমেভোটগ্রহণের বিপক্ষে অবস্থান করছেন। গতকাল বুধবার নগরীর গ্র্যান্ড হোটেলমোড়ে বিএনপি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, ভোটাররা ইভিএম নিয়ে আস্থাহীনতায় ভুগছেন। ভোটদেওয়ার আগেই ভোট হয়ে গেছে এমন শঙ্ক রয়েছে ভোটারদের মনে। নির্বাচন কমিশন এউপনির্বাচনে ইভিএমে ভোটগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমরা শুরু থেকেই এর ঘোরবিরোধিতা করেছি। কারণ ইভিএম ব্যালটের মতো স্বচ্ছ ফলাফল এনে দিতে পারে না।সরকার চাইলেই কারচুপি করে তাদের পক্ষে ভোট নিয়ে নিতে পারে। ইভিএমের বিরোধিতা করে বিএনপিদলীয় প্রার্থী রিটা রহমান বলেন, ইভিএমের প্রতিআমার আস্থা নেই। আমার আস্থা জনগণের ওপর। তারা আমাকেই ভোট দেবেন। ইভিএমেকারচুপি হলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিহত করা হবে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুলহাবিব দুলু, বিএনপি নেতা তাবিথ আউয়াল, রংপুর মহানগর বিএনপির সহসভাপতিসামসুজ্জামান সামু, সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম মিজু, জেলা যুবদলের সভাপতিনাজমুল আলম নাজু, যুবদল নেতা জহির আলম নয়ন, মহানগর ছাত্রদলের সাধারণসম্পাদক জাকারিয়া ইসলাম জীমসহ অন্যরা।
রংপুর-৩ উপনির্বাচন
আজ দেবীর বোধন
প্রকাশ: ০২ অক্টোবর ২০১৯ | ১৩:২৪
আজ বোধন। শারদীয় দুর্গোৎসবের প্রাক্কালে এই বোধনের মাধ্যমে দক্ষিণায়নেরনিদ্রিত দেবী দুর্গার নিদ্রা ভাঙার জন্য বন্দনা পূজা করা হবে।মণ্ডপে-মন্দিরে আজ বৃহস্পতিবার পঞ্চমীতে সায়ংকালে তথা সন্ধ্যায় এই পূজাঅনুষ্ঠিত হবে। বোধন দুর্গাপূজার অন্যতম একটি আচার। বোধন শব্দের অর্থ জাগরণ বাচৈতন্যপ্রাপ্ত। পূজা শুরুর আগে সন্ধ্যায় বেলশাখায় দেবীর বোধন দুর্গাপূজারএকটি অত্যাবশ্যকীয় অঙ্গ। শরৎকালের দুর্গাপূজায় এই বোধন করার বিধান রয়েছে।বিভিন্ন পুরাণ অনুসারে ভগবান রামচন্দ্র শরৎকালে রাক্ষসরাজ রাবণকে বধ করারউদ্দেশ্যে দুর্গাপূজা করেন। তিনি অকালে এই বোধন করেন বলেই এটি অকালবোধননামে খ্যাত। তবে বসন্তকালে চৈত্র মাসে যে দুর্গাপূজা তথা বাসন্তীপূজাঅনুষ্ঠিত হয়, তাতে বোধন করার প্রয়োজন হয় না।আজ বোধন শেষে আগামীকাল শুক্রবার থেকে ষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবেশুরু হবে দুর্গাপূজা। পাঁচ দিনের এ উৎসব শেষ হবে ৮ অক্টোবর মঙ্গলবারপ্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে।
শারদীয় দুর্গোৎসব
ধর্মঘটে যাচ্ছেন সাড়ে তিন লাখ শিক্ষক
প্রকাশ: ০২ অক্টোবর ২০১৯ | ১৩:২৫
বেতন-বৈষম্য নিরসনের এক দফা দাবিতে সর্বাত্মক আন্দোলনে যাচ্ছেন সারাদেশেরসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাড়ে তিন লাখ শিক্ষক। প্রাথমিক বিদ্যালয়েরসহকারী শিক্ষক ও প্রধান শিক্ষকদের মোট ১৪টি সংগঠন মিলে সম্প্রতি গঠিত হয়েছে'বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক ঐক্য পরিষদ'। এই পরিষদের মাধ্যমে আন্দোলনেরকর্মসূচি ঘোষণার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রধান শিক্ষকদের জাতীয় বেতন স্কেলের দশম গ্রেডে ওসহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেডে বেতন দেওয়ার দাবিতে আগামী ১৪ অক্টোবরসারাদেশের প্রায় ৬৬ হাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এক ঘণ্টা কর্মবিরতিপালন করা হবে। পরদিন ১৫ অক্টোবর পালন করা হবে দুই ঘণ্টার কর্মবিরতি। তারপরের দিন ১৬ অক্টোবর এসব বিদ্যালয়ে অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করবেনশিক্ষকরা। ১৭ অক্টোবর পূর্ণ দিবস কর্মবিরতিতে যাবেন তারা। এরপরও দাবি আদায়না হলে ২৭ অক্টোবর রাজধানী ঢাকায় মহাসমাবেশ করা হবে। দাবি আদায় না হওয়াপর্যন্ত লাগাতার কর্মসূচি চলবে। ১৪টি সংগঠনের সম্মিলিত মোর্চা বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক ঐক্য পরিষদের সদস্যসচিব মোহাম্মদ শামছুদ্দীন মাসুদ সমকালকে বলেন, আমাদের (প্রাথমিকশিক্ষকদের) পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। বাধ্য হয়ে তারা সর্বাত্মক আন্দোলনেযাচ্ছেন। ৬ অক্টোবর জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে সার্বিকপরিস্থিতি তুলে ধরে কর্মসূচি আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করবেন। মন্ত্রণালয়েলিখিত আবেদনের মাধ্যমে তাদের দাবির বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে আবারও চূড়ান্তভাবেঅবহিত করা হবে বলে তিনি জানান। প্রাথমিক শিক্ষকদের আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সাধারণঅভিভাবকরা। তারা বলেন, আগামী মাসে (১৭ নভেম্বর) শুরু হতে যাচ্ছে চলতি বছরেরপ্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী ও ইবতেদায়ি পরীক্ষা। ইংরেজি পরীক্ষার মধ্য দিয়েশুরু হবে এ পরীক্ষা। ২৪ নভেম্বর গণিত পরীক্ষা আয়োজনের মাধ্যমে শেষ হবে এপরীক্ষা। পরীক্ষার আর দেড় মাস মাত্র বাকি। এ মুহূর্তে শিক্ষকরা বিদ্যালয়বন্ধ করে লাগাতার ধর্মঘটে গেলে শিশু শিক্ষার্থীদের অপূরণীয় ক্ষতি হবে। তাইদ্রুত সরকারকে শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনায় বসে সমস্যার সমাধানে উদ্যোগী হতেহবে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আকরাম আল হোসেন সমকালকে বলেন,প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতন-বৈষম্য কমাতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গেতারা আলাপ-আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন। তারা শতভাগ আন্তরিক এ বিষয়ে। তবে কোমলমতিছাত্রছাত্রীদের কোনো ক্ষতি হয়, এমন কোনো কর্মসূচি শিক্ষকদের না দেওয়ারজন্য তিনি আহ্বান জানান।এর আগে গত ২৯ জুলাই এই শিক্ষকদের বেতন বাড়ানোর এই প্রস্তাব অর্থমন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছিল প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। ৮ সেপ্টেম্বর তানাকচ করে দেয় অর্থ মন্ত্রণালয়। এরপর সারাদেশের শিক্ষকরা ক্ষুব্ধ হয়ে এইআন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা বর্তমানে জাতীয় বেতন স্কেলের ১১তমগ্রেডে বেতন পান। তাদের দশম গ্রেডে উন্নীত করার প্রস্তাব করেছিল প্রাথমিক ওগণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। সহকারী শিক্ষকরা পান ১৪তম গ্রেডে। তারা ১২তম গ্রেডেউন্নীত হবেন বলে প্রস্তাবে ছিল। প্রাথমিক শিক্ষকরা জানান, আগে প্রধানশিক্ষকদের সঙ্গে সহকারী শিক্ষকদের বেতনের পার্থক্য ছিল এক গ্রেড। প্রধানশিক্ষকদের পদমর্যাদা দ্বিতীয় শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তার সমান করায় এখন সেপার্থক্য দাঁড়িয়েছে তিন গ্রেড। এটি নিঃসন্দেহে বৈষম্য। প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রণালয়ের দেওয়া প্রস্তাবে এ বৈষম্য কমানোর প্রচেষ্টা ছিল।বর্তমানে সারাদেশে ৬৫ হাজার ৯০২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এগুলোকেতিন লাখ ২৫ হাজার সহকারী শিক্ষক ও ৪২ হাজার প্রধান শিক্ষক রয়েছেন।প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা দীর্ঘদিন ধরেই তাদের বেতন স্কেল দশমগ্রেডে নেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছিলেন। বেতন নিয়ে অসন্তুষ্টি রয়েছে সহকারীশিক্ষকদের ভেতরেও।জানা গেছে, বর্তমানে একজন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জাতীয় বেতনস্কেলের ১১তম গ্রেডে (১২,৫০০/-) এবং প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকরাজাতীয় বেতন স্কেলের ১৪তম গ্রেডে (১০,২০০/-) বেতন পান। ১৬ বছর চাকরির পরএকজন প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে সহকারী শিক্ষকের বেতনে ব্যবধান হবে ভাতাসহপ্রায় ২০ হাজার টাকা। শিক্ষক নেতা শামছুদ্দীন মাসুদ বলেন, বর্তমানে একজনপ্রধান শিক্ষক যে স্কেলে চাকরি শুরু করেন, একজন সহকারী শিক্ষক সেই স্কেলেরএক গ্রেড নিচে চাকরি শেষ করেন, যা সহকারী শিক্ষকদের জন্য চরম বৈষম্য। তিনিবলেন, আমরা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা যে শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়েচাকরিতে যোগদান করি, একই যোগ্যতায় অন্য ডিপার্টমেন্টে যারা সরকারি চাকরিকরেন, তাদের বেতন গ্রেডও আমাদের তুলনায় তিন থেকে চার ধাপ ওপরে। এমনকিক্ষেত্রবিশেষে শিক্ষকদের চেয়ে কম শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে অন্য ডিপার্টমেন্টেসহকারী শিক্ষকদের তুলনায় বেশি বেতনে চাকরি করেন। আমরা সম্মানজনক বেতনস্কেল প্রত্যাশা করি, যা আমাদের সামাজিক মর্যাদা ও আর্থিক নিরাপত্তানিশ্চিত করবে।জানা গেছে, ১৯৭৭ সালে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বেতন পেতেন ১৫তমগ্রেডে ৩২৫ টাকা। তখন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষক পেতেন ১৬তম গ্রেডে৩০০ টাকা। প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকের মধ্যে গ্রেডের ব্যবধান ছিল একধাপ। ১৯৮৫ থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত একজন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বেতনপেতেন ১৬তম গ্রেডে ৭৫০ টাকা এবং একজন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষক বেতনপেতেন ১৭তম গ্রেডে ৬৫০ টাকা। ব্যবধান ছিল ১০০ টাকা। ২০০৬ সাল পর্যন্ত একজনপ্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ১৬তম গ্রেডে তিন হাজার ১০০ ওপ্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষক ১৭তম গ্রেডে তিন হাজার টাকা বেতন পেতেন।ব্যবধান ১০০ টাকাই ছিল। কিন্তু ২০০৬ সালের ২৯ আগস্ট বেতন আপগ্রেডের নামেপ্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকদের ১৩তম গ্রেডে তিন হাজার ৫০০ ওপ্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকদের ১৫তম গ্রেডে তিন হাজার ১০০ টাকা বেতননির্ধারণ করা হয়। এ সময় দুই ধাপ বেতন-বৈষম্যের সৃষ্টি হয় এবং বেতনেরব্যবধান হয় ৪০০ টাকা। ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন ও পদমর্যাদা বৃদ্ধিরঘোষণা দেন। তখন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বেতন স্কেল নির্ধারণ করাহয় দ্বিতীয় শ্রেণির পদমর্যাদাসহ ১১তম গ্রেডে ছয় হাজার ৪০০ এবংপ্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকের বেতন স্কেল নির্ধারণ করা তৃতীয় শ্রেণিরকর্মচারী হিসেবে ১৪তম গ্রেডে পাঁচ হাজার ২০০ টাকা। বেতন গ্রেডের পার্থক্যহয় তিন ধাপ। তৃতীয় শ্রেণি থেকে প্রধান শিক্ষকরা দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীতহলেও সহকারী শিক্ষকরা তৃতীয় শ্রেণির পদেই থেকে যান। বেতন আপগ্রেডের সময় মূলবেতনের ব্যবধান হয় এক হাজার ২০০ টাকা এবং ২০১৫ সালের অষ্টম জাতীয় পেস্কেলে সে ব্যবধান দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ৩০০ টাকা।
ধর্মঘটে যাচ্ছেন সাড়ে তিন লাখ শিক্ষক
প্রতিবেশীর সমস্যা ভারত আমলে নেয় না: কৃষিমন্ত্রী
প্রকাশ: ০২ অক্টোবর ২০১৯ | ১৩:৩৩ | আপডেট: ০২ অক্টোবর ২০১৯ | ১৩:৩৮
নিজেদের বাজার সামলাতে ভারত সরকার পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দেওয়ায় হতাশা প্রকাশ করে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, প্রতিবেশীদের কোনো সমস্যা ভারত আমলে নেয় না।বুধবার রাজধানীর খামারবাড়ি বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) মিলনায়তনে সংস্থাটির আয়োজনে ফসলের ক্ষতিকর কীটপতঙ্গ দমনে পরিবেশবান্ধব 'টিসিপি' প্রকল্পের ওপর কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।কৃষিমন্ত্রী বলেন, 'আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারত। প্রতিবেশী দেশের কোনো সমস্যা হলে তারা তাদের কথা ভাবে না। তারা দাম বাড়িয়ে দেয় অথবা ট্যাক্স বসায় অথবা এক্সপোর্ট ব্যান করে।'দেশের বাজারে পেঁয়াজের এ সংকটকে সাময়িক উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকার আপ্রাণ চেষ্টা করছে বিদেশ থেকে পেঁয়াজ আনার। এরই মধ্যে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে যুক্ত করা হয়েছে।কৃষিমন্ত্রী বলেন, 'আসলে আমাদের উৎপাদনের আরও আগে একটা পরিকল্পনা করা উচিত ছিল। আগাম বর্ষা হওয়ায় আমরা তা করতে পারিনি। তাছাড়া মার্চের শেষদিকে বৃষ্টি হয়েছে। এজন্য পেঁয়াজের উৎপাদন কম হয়েছে। তাই এর দামও অস্বাভাবিক। তবে আমি নিশ্চিত করতে চাই, পেঁয়াজ বিদেশ থেকে দ্রুত আনার জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।'কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবদুল মুঈদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন কৃষি সচিব নাসিরুজ্জামান, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সুলতানা আফরোজ, জাতিসংঘ কৃষি ও খাদ্য সংস্থার (এফএও) বাংলাদেশ প্রতিনিধি রবার্ট ডি সিমপসন, বিইআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান কবীর ইকরামুল হক প্রমুখ।
ড. আব্দুর রাজ্জাক , কৃষিমন্ত্রী
মাফিয়াদেরও বস সেলিম প্রধান
প্রকাশ: ০২ অক্টোবর ২০১৯ | ১৩:৩৫
ক্যাসিনো-কাণ্ডে সিকিউরিটি প্রিন্টিং প্রেস ব্যবসায়ী সেলিম প্রধানের নামবেরিয়ে আসার পর তার প্রভাব সম্পর্কে জানতে চাইলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর একজনকর্মকর্তা বলছিলেন, 'এই সেলিম মাফিয়াদেরও মাফিয়া। জি কে শামীম, সম্রাট,খালেদদেরও বস তিনি। তার যোগাযোগ আরও ওপরে।' খোঁজ নিয়ে খবরও মিলল,প্রিন্টিং ব্যবসার আড়ালে সেলিম প্রধানের ছিল অভাবনীয় ক্ষমতা ও দাপট। সবাইতাকে সমীহ করে চলতেন। র‌্যাবের হাতে গ্রেফতারের পর গোয়েন্দারা এখন সেইক্ষমতার উৎস খুঁজছেন। বহুল আলোচিত সেলিমও র‌্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদেদিয়েছেন চমকপ্রদ বেশ কিছু তথ্য।র‌্যাব সূত্র জানিয়েছে, গুলশানে সেলিম প্রধানের অনলাইন ক্যাসিনোর নেপথ্যেছিলেন উত্তর কোরিয়ার নাগরিক মি. দো। থাইল্যান্ডে বসবাসকারী ওই ব্যক্তিরমাধ্যমেই ২০১৮ সালে অনলাইন ক্যাসিনো খোলেন তিনি। মতিঝিলের ক্লাবপাড়াগুলোতেযে কোনো ব্যক্তিই ক্যাসিনো খেলত। তবে সেলিম প্রধানের গ্রাহকরা ছিলেন সমাজেরউঁচু স্তরের।সেলিম প্রধানের অনলাইন জুয়ার মূল সার্ভার ফিলিপাইনের ম্যানিলায়। তিনি সেখানথেকে অনলাইন জুয়ার কপিরাইট কিনে ঢাকায় চালাচ্ছিলেন এই অবৈধ ব্যবসা।ম্যানিলাকেন্দ্রিক বিশ্বের কুখ্যাত বেশ কয়েক জুয়াড়ির সঙ্গেও রয়েছে সেলিমপ্রধানের উষ্ণ যোগাযোগ। র‌্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এ-সংক্রান্ত তথ্যদিয়েছেন তিনি।র‌্যাবের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা সমকালকে বলেন, সেলিম প্রধানজিজ্ঞাসাবাদে তাদের জানিয়েছেন, ভাগ্য বদলাতে নব্বই দশকে তিনি জাপানগিয়েছিলেন। সেখানে বিয়েও করেন। নানা ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে গাড়িব্যবসা করতে গিয়ে ঝামেলায় পড়েন। ওই ঘটনায় জাপানে তার বিরুদ্ধে তিনটি মামলাহয়। একপর্যায়ে জাপান থেকে ফিরে আমেরিকায় চলে যান। সেখানেও বিয়ে করেন।মার্কিন স্ত্রীর মাধ্যমে আবারও জাপান যাওয়ার চেষ্টা চালান। যদিও ব্যর্থ হন।সেলিম প্রধান জানিয়েছেন, গত বছর থেকেই তার কাছে মেসেজ ছিল, ক্যাসিনোরবিরুদ্ধে অভিযান শুরু হবে। এ জন্য নিজের ব্যবসাও গুটিয়ে নিচ্ছিলেন। সর্বশেষতার কাছে মেসেজ আসে, চলমান অভিযানে তিনি নজরদারিতে রয়েছেন। এরপরইথাইল্যান্ডে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। থাই পাসপোর্ট বহন করায় ঢাকাছাড়তে ঝামেলা হবে না বলে তার ধারণা ছিল।প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর র‌্যাবের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা সমকালকেবলেছেন, সেলিম প্রধানের বাসা ও অফিস তল্লাশি করে তারা কিছু গুরুত্বপূর্ণনথি পেয়েছেন। জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্য ও কিছু নথি ঘেঁটে দেখা গেছে, উত্তরকোরীয় নাগরিকের সঙ্গে ফিফটি-ফিটটি ভাগে অনলাইন ক্যাসিনো চালানো হতো। অর্থাৎলভ্যাংশের অর্ধেক পেতেন সেলিম প্রধান আর বাকি অর্ধেক ওই বিদেশি নাগরিক।পুরো টাকাই বিদেশে পাচার হতো।পুলিশের গুলশান বিভাগে দায়িত্ব পালন করেছেন- এমন একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন,বনানীতে সেলিম প্রধানের একটি অভিজাত স্পা সেন্টার রয়েছে। পুলিশ বা মাঠপর্যায়ের গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরাও সেখানে প্রবেশ করতে পারতেন না। কয়েকবছর আগে একবার সেখানে পুলিশের একটি দল গোপন খবরের ভিত্তিতে অভিযান চালাতেযায়। তবে অদৃশ্য ফোন পেয়ে ফিরে আসতে হয়।সূত্রগুলো বলছে, সেলিম প্রধান মাসের বেশির ভাগ সময়ে থাইল্যান্ড থাকতেন। তবেদেশে এলেও তিনি একই স্টাইলে জীবনযাপন করতেন। স্পা সেন্টারে আর নিজেরফ্ল্যাটে রীতিমতো জমকালো পার্টি দিতেন। তার এসব পার্টিতে দেশের প্রভাবশালীনানা স্তরের লোকজন যোগ দিতেন।সূত্র জানায়, চারদলীয় জোট সরকারের আমলে তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ বন্ধুগিয়াসউদ্দিন আল মামুনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার সূত্রে উত্থান ঘটে সেলিম প্রধানের।হাওয়া ভবনের বলয়ভুক্ত হওয়ার পর তাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।গিয়াসউদ্দিন মামুনকে বিএমডব্লিউ গাড়ি উপহার দিয়ে তিনি নজরে আসেন সবার।কিন্তু সরকারের পতনের পর সেই গাড়িও ফেরত নেন। এরপর নতুন সরকারের অনেক নেতারসঙ্গে ঘনিষ্ঠতা গড়ে তোলেন এবং অপকর্ম অব্যাহত রাখেন। তবে সেলিম প্রধানলন্ডন কানেকশন থেকে সরে আসেননি।আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, অনলাইন ক্যাসিনো,সীমান্তবর্তী অপরাধ জগৎ নিয়ন্ত্রণের বাইরেও সেলিম প্রধান স্বর্ণচোরাচালানের বড় হোতা বলে তারা ধারণা করছেন। আপাতত হরিণ হত্যার ঘটনায়স্বীকারোক্তি দেওয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালত তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন। তবেঅন্যান্য মামলায় রিমান্ডে এনে তাকে বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
মাফিয়াদেরও বস সেলিম প্রধান
পেঁয়াজ আসছে শত শত টন
প্রকাশ: ০২ অক্টোবর ২০১৯ | ১৩:৩৬
ভারত রফতানি বন্ধ করলেও শত শত টন পেঁয়াজ আসছে মিয়ানমার থেকে। গতকাল বুধবারও৫৮৪ টন পেঁয়াজ এসেছে টেকনাফ স্থলবন্দরে। এর আগের দু'দিনে এসেছে এক হাজার১০০ টন। টেকনাফের নাফ নদে আরও ৮৪৩ টন পেঁয়াজ বোঝাই ট্রলার ভাসছে। আজবৃহস্পতিবার এসব ট্রলার থেকে পেঁয়াজ খালাস করা হবে। এদিকে টানা দু'দিনেভোক্তাদের পকেট থেকে দশ কোটি টাকারও বেশি মুনাফা করে কিছুটা শান্ত হয়েছেপাইকারি মোকাম খাতুনগঞ্জ। ভ্রাম্যমাণ আদালতের কাছে মুচলেকা দেওয়ার পর গতকালদিনভর সেখানে আগের চেয়ে কেজিপ্রতি ১৫-২০ টাকা কমে বিক্রি হয়েছে পেঁয়াজ।তবে খুচরা বাজারে এখনও পড়েনি দাম কমার এ প্রভাব। নিত্যপ্রয়োজনীয় এ পণ্যনিয়ে কারসাজি করা ব্যক্তিদের নজরদারিতে রেখেছে গোয়েন্দা সংস্থা। গত এক মাসেকোন আমদানিকারক কী পরিমাণ পেঁয়াজ এনেছেন এবং তাদের কাছ থেকে এসব পেঁয়াজকারা কীভাবে কিনেছেন- সে তথ্য সংগ্রহ করছে তারা। টেকনাফে পেঁয়াজ আমদানিকারকদের নিয়ে বৈঠকও করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মনিটরিং টিম। চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন বলেন, 'পেঁয়াজ নিয়ে যারাকারসাজি করছে তাদের সবার তথ্য আমাদের কাছে আছে। আমরা আমদানিকারক ওআড়তদারদের সতর্কবার্তা দিয়ে এসেছি খাতুনগঞ্জে। কম দামে কেনা পেঁয়াজ বেশিদামে বিক্রি করবেন না বলে মুচলেকাও দিয়েছেন তারা। গতকাল দিনভর নানা কৌশলেবাজার পর্যবেক্ষণও করেছি আমরা। আবার মিয়ানমারসহ বিভিন্ন দেশ থেকে প্রচুরপরিমাণে পেঁয়াজ আসছে। এসবের প্রভাবে গতকাল দিনভর খাতুনগঞ্জের বাজার আগেরচেয়ে অনেক স্বাভাবিক হয়েছে। ধীরে ধীরে বাজার আরও স্বাভাবিক হয়ে আসবে।' বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বস্ত্র সেলের যুগ্মসচিব তৌফিকুর রহমানের নেতৃত্বেজেলা প্রশাসকের একটি টিম টেকনাফ স্থলবন্দরে আমদানিকারকদের সঙ্গে বৈঠক করে। এসময় কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামাল হোসেন বলেন, পেঁয়াজের দামবাড়িয়ে যারা সাধারণ মানুষের কষ্টের কারণ হবেন, তাদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবেনা। কম দামে কেনা পেঁয়াজ কম দামেই বিক্রি করতে হবে।টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়ে গতকাল ৫৮৪ টন পেঁয়াজ এসেছে মিয়ানমার থেকে। এর আগেরদু'দিন একই রুট দিয়ে আরও প্রায় এক হাজার ১০০ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়। টেকনাফেরনাফ নদে এখনও ভাসছে ২১ হাজার ৭৫ বস্তা পেঁয়াজ। পাইপলাইনে আছে আরও প্রায়৮০০ টন। চট্টগ্রাম বন্দর দিয়েও পেঁয়াজ আসছে তুরস্ক এবং মিসর থেকে। বাংলাদেশব্যাংক চট্টগ্রাম অঞ্চলের হিসাব অনুযায়ী, দুই হাজার টনেরও বেশি পেঁয়াজেরএলসি খোলা হয়েছে বিভিন্ন ব্যাংকে। সপ্তাহখানেকের মধ্যে এসব পেঁয়াজ আসবেচট্টগ্রাম বন্দরে। এদিকে পেঁয়াজ আমদানি উৎসাহিত করতে সুদহার সর্বোচ্চ ৯শতাংশ বেঁধে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংক এ সংক্রান্তএকটি প্রজ্ঞাপনও জারি করেছে। এ নির্দেশনা ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বহাল থাকবে।কে আনলেন কত পেঁয়াজ :গতকাল মিয়ানমার থেকে আসা ৫৮৪ দশমিক ৭৩২ টন পেঁয়াজেরমালিক আট থেকে দশজন ব্যবসায়ী। দিনে দিনে আমদানি করা সব পেঁয়াজ খালাস হয়েচলে গেছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। গতকাল আমদানি করা পেঁয়াজের মধ্যে এমএহাশেমের ১০০ টন, যদু চন্দ্র দাসের ১১৮, মোহাম্মদ জব্বারের ৭৯ দশমিক ৩৮২,মোহাম্মদ সাদ্দামের ৫৯ দশমিক ৮৮০, মোহাম্মদ কামালের ৫৯ দশমিক ৮৮০, মোহাম্মদকাদেরের ৭৯ দশমিক ৯৫০, মোহাম্মদ শুক্কুরের ২৬ ও মোহাম্মদ কামরুলের ৫৯দশমিক ৮৮০ টন রয়েছে। এখনও প্রায় ৮০০ টন পেঁয়াজ আসার অপেক্ষায় আছে মিয়ানমারথেকে। বুকিং দেওয়া এসব পেঁয়াজের মালিকও ঘুরেফিরে এই আট থেকে দশ ব্যবসায়ী।মিয়ানমার থেকে এককভাবে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ পেঁয়াজ এনেছেন এমএইচট্রেডিংয়ের মোহাম্মদ হাশেম। তিনি একাই দেড় হাজার টনেরও বেশি পেঁয়াজ আমদানিকরেছেন। মোহাম্মদ হাশেম বলেন, দেশের বাজার স্বাভাবিক রাখতে মিয়ানমার থেকেপেঁয়াজ আনছি আমরা। দু'দিনে খাতুনগঞ্জে বাড়তি মুনাফা ১০ কোটি টাকা :চট্টগ্রামের পাইকারি মোকামখাতুনগঞ্জে আগের দিনের চেয়ে গতকাল কেজিপ্রতি ১৫ থেকে ২০ টাকা কম দামেবিক্রি হয়েছে পেঁয়াজ। মঙ্গলবার ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালানোর সময় কমদামে পেঁয়াজ বিক্রির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ব্যবসায়ীরা। এটি পুরোপুরি নামানলেও আগের চেয়ে কমে পেঁয়াজ বেচাকেনা হয়েছে। তবে পেঁয়াজ বিক্রির হার অন্যযে কোনো দিনের তুলনায় ছিল অনেক কম। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াসকে দিনভরটেলিফোনে বাজার পরিস্থিতি জানিয়েছে আড়তদার মালিক সমিতি। তাই জেলা প্রশাসকএকবার ভ্রাম্যমাণ আদালতকে দিয়ে ফের অভিযান পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েও পরেসেখান থেকে সরে আসেন। বিকল্প একটি টিম পাঠান তিনি রিয়াজউদ্দিন বাজারে। এবাজার মনিটরিং করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিনা আক্তার সুমি। তিনিবলেন, 'খাতুনগঞ্জের বাজার আগের দিনের তুলনায় অনেক স্বাভাবিক ছিল। তাই খুচরাবাজারে সেটির প্রভাব পড়েছে কি-না তা খতিয়ে দেখছি আমরা। অনেক ব্যবসায়ীকেসতর্ক করেছি। চিত্র না পাল্টালে পরে আরও কঠিন হবো আমরা।'
পেঁয়াজ
'নির্ধারিত দামেই পেঁয়াজ বিক্রি করতে হবে'
প্রকাশ: ০২ অক্টোবর ২০১৯ | ১৩:৪৫ | আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০১৯ | ০৮:৫০
পেঁয়াজের দাম কোনোভাবেই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে দেওয়া হবে না বলে ব্যবসায়ীদের সতর্ক করে দিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন। তিনি বলেছেন, সরকারের নির্ধারণ করে দেওয়া যৌক্তিক মূল্যেই ডিএসসিসি এলাকায় পেঁয়াজ বিক্রি করতে হবে। এর ব্যত্যয় হলে ভ্রাম্যমাণ আদালত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে।বুধবার পলাশী কাঁচাবাজার পরিদর্শনকালে মেয়র এসব কথা বলেন।মেয়র নগরবাসীর প্রতি অনুরোধ জানিয়ে বলেন, প্রয়োজনের তুলনায় বেশি পেঁয়াজ কিনে বাসায় মজুদ করবেন না। বেশি কিনে সরবরাহের মধ্যে চাপ সৃষ্টি করবেন না।তিনি বলেন, প্রয়োজনীয় সকল পণ্য মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে পেঁয়াজের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে ডিএসসিসি ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বিশেষ অভিযান শুরু করেছে। পেঁয়াজের দর স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে না আসা পর্যন্ত এই অভিযান চলবে। একটা শক্ত মনিটরিংয়ের মধ্য দিয়ে বাজার নিয়ন্ত্রণ করা হবে।মেয়র বলেন, শ্যামবাজার এবং কারওয়ান বাজারে কিছু অসাধু ব্যবসায়ীর মজুদ করার একটা প্রবণতা আছে। কেউ এই মজুদ গড়ে তোলার চেষ্টা করলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মজুদদারের গুদামও সিলগালা করে দিতে পারেন ম্যাজিস্ট্রেট।
মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন, ডিএসসিসি
খালেদা জিয়ার মুক্তি ফের আলোচনায়
প্রকাশ: ০২ অক্টোবর ২০১৯ | ১৩:৪৯ | আপডেট: ০২ অক্টোবর ২০১৯ | ২১:১২
কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কি শিগগির মুক্তি পাচ্ছেন? হঠাৎদলীয় সংসদ সদস্যদের দৌড়ঝাঁপের প্রেক্ষাপটে বিষয়টি ব্যাপকভাবে আলোচিত হচ্ছে।জনমনে ঘুরপাক খাচ্ছে কয়েকটি প্রশ্ন। তিনি মুক্তি পেলে সেটি হবে কোনপ্রক্রিয়ায়। আদালতের জামিন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নাকি প্যারোলে? নাকি সরকারিনির্বাহী আদেশে? খালেদা জিয়া কি বিদেশে গিয়ে উন্নত চিকিৎসা করতে রাজি আছেন?গত দু'দিনে দলীয় সাত সাংসদ খালেদা জিয়ার সঙ্গে হাসপাতালে সাক্ষাৎ করেন।সাংসদ হারুনুর রশীদ খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাতের পরদিন গতকাল বুধবারআওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেছেন। ফলেবিষয়টি আরও গুরুত্ব পায়। রাতে গণভবনে আওয়ামী লীগের বৈঠকেও খালেদা জিয়ারমুক্তির বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। সূত্র জানায়, বৈঠকে বিষয়টি বিচারাধীন থাকারকথা উল্লেখ করে এ প্রসঙ্গে নেতাদের সতর্কতার সঙ্গে কথা বলার পরামর্শদিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়টি সামনে আসায় নানাজল্পনা-কল্পনা চলছে রাজনৈতিক অঙ্গনে। বিশেষ করে সরকারের দুর্নীতিবিরোধীঅভিযানের মধ্যে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিকে তাৎপর্যপূর্ণ মনে করছেনরাজনৈতিক বিশ্নেষকরা। আগামী ১৩ অক্টোবর উচ্চ আদালতের অবকাশের পর দুটিমামলায় জামিনের জন্য ফের আবেদন করবেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। তাদেরপ্রত্যাশা খালেদা জিয়া জামিনে মুক্তি পাবেন।অবশ্য বিএনপিদলীয় সাংসদ হারুনুর রশীদের বরাত দিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণসম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের জানান, খালেদা জিয়া উন্নত চিকিৎসার জন্যবিদেশে যেতে রাজি আছেন। বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করতে তাকে অনুরোধকরা হয়েছে। হারুনুর রশীদ নিজেও সাংবাদিকদের জানিয়েছেন যে, খালেদা জিয়াবিদেশে যেতে রাজি। তবে দলের কয়েকজন সাংসদ জানিয়েছেন, কোনো শর্তে খালেদা জিয়া জামিন নিতেআগ্রহী নন। প্যারোলে তিনি মুক্তি নেবেন না, এটা অনেক আগেই বলেছেন। আসলেরাজনৈতিক সিদ্ধান্ত ছাড়া বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি হবে না।তার মুক্তির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর পদক্ষেপ আশা করেন তারা। অন্যদিকে দলীয় সূত্র জানিয়েছে, জামিনে মুক্ত হলে চিকিৎসকদের পরামর্শঅনুযায়ী উন্নত চিকিৎসা নেবেন তিনি। সেটা দেশেও হতে পারে কিংবা বিদেশেও হতেপারে। এ ক্ষেত্রে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানতারেক রহমানের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করবে সবকিছু।এ বিষয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গতকাল রাতে সমকালকেবলেন, এটি সাংসদদের রুটিন সাক্ষাৎ। তারা অনেক আগেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছেআবেদন করেছিলেন। এমপি হিসেবে তারা দলীয়প্রধানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন।মুক্তি পেলে খালেদা জিয়া বিদেশে যাবেন কি-না- প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,জামিনে তার মুক্তি প্রাপ্য। মুক্তি পাওয়ার পর তিনি কোথায় চিকিৎসা নেবেন- সেসিদ্ধান্ত তিনিই নেবেন।এদিকে খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে কূটনৈতিক তৎপরতা বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছেবিএনপি। গতকাল সন্ধ্যায় গুলশান কার্যালয়ে দলের আন্তর্জাতিক উইংয়ের নেতারাবৈঠক করেন। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।সূত্র জানায়, তারা খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবনতি ও জামিনে মুক্তির বিষয়টিনিয়ে শিগগির বাংলাদেশে কর্মরত বিদেশি কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে সাংসদ হারুনের সাক্ষাৎ :খালেদা জিয়ার সঙ্গেসাক্ষাতের পরদিন গতকাল দুপুরে সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গেসচিবালয়ে দেখা করেন বিএনপির এমপি হারুনুর রশীদ। গত মঙ্গলবার কারাবন্দিবিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে সাক্ষাতের পর হারুনুর রশীদ বলেছিলেন, খালেদাজিয়া আজ জামিন পেলে, কালই বিদেশ যাবেন। বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হারুনুর রশীদের সঙ্গে কথা বলার পর আওয়ামী লীগেরসাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, 'জামিন পেলেখালেদা জিয়া বিদেশে যাবেন'- এ কথা বিএনপির যে এমপি বলেছেন, তিনি আমারসঙ্গে দেখা করেছেন। বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীকে জানাতে বলেছিলেন।প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছি। রাজনৈতিক সমঝোতায় খালেদা জিয়া কারামুক্ত হচ্ছেন কি-না- এ প্রশ্নে ওবায়দুলকাদের বলেন, 'জামিন দেওয়ার এখতিয়ার আসলে আদালতের। আদালতকে জামিন দেওয়ার কথাকীভাবে বলব। বিচার বিভাগ তো স্বাধীন।'আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দাবি করেন, খালেদা জিয়ার সঙ্গে তাদের কোনোবিরোধ নেই। যখন আদালত খালেদা জিয়াকে জামিন দেবেন, তখন পক্ষে-বিপক্ষে কথাহবে। তাকে জামিন দেবেন কি-না, তা বিচারকের বিষয়।'বিএনপির আন্দোলনের হুমকির জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ভেতরে ভেতরে তারাসরকারের কাছে জামিন চাইলেও বাইরে বলছেন আন্দোলন করে খালেদা জিয়াকে মুক্তকরবেন। আমিও চাই বিএনপি আন্দোলন করুক। কিন্তু আন্দোলনের ছিটেফোঁটাও দেখছিনা। বিদেশে বসে আন্দোলনের কর্মসূচি দিলে আন্দোলন হয় না। যদি আন্দোলন করারসক্ষমতা থাকত তাহলে খালেদা জিয়াকে গ্রেফতারের পরপরই আন্দোলন হতো।সাংসদ হারুনুর রশীদ সমকালকে বলেন, এলাকায় সড়কের কাজের জন্য তিনি ওবায়দুলকাদেরের কাছে গিয়েছিলেন। সেখানে তিনি খালেদা জিয়ার জামিনের বিষয়ে কথাবলেছেন। গত মঙ্গলবার বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করারবিষয়টি তাকে অবহিত করা হয়েছে। খালেদা জিয়ার জামিনের বিষয়টি সংসদ নেতাপ্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করার জন্য বলেছি। খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থাঅত্যন্ত খারাপ এবং তার দ্রুত চিকিৎসা প্রয়োজন। তার চিকিৎসার জন্য হলেওজামিন তাড়াতাড়ি করবেন কি-না, এ বিষয়ে জানিয়েছি। তিনি জানান, ওবায়দুল কাদেরপ্রধানমন্ত্রীকে খালেদা জিয়ার জামিন বিষয়ে অবহিত করবেন বলে তাকে জানিয়েছেন।খালেদা জিয়ার সঙ্গে চার সাংসদের সাক্ষাৎ :গতকাল বুধবার বিকেলে বিএনপিদলীয়চার সংসদ সদস্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়-বিএসএমএমইউতেচিকিৎসাধীন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাতের পর সাংবাদিকদের কাছে এ কথা জানানজিএম সিরাজ এমপি। বিকেল সোয়া ৩টায় বগুড়া-৪ আসনের মোশাররফ হোসেন, বগুড়া-৬আসনের জিএম সিরাজ, ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের জাহিদুর রহমান জাহিদ ও সংরক্ষিত নারীআসনের সাংসদ রুমিন ফারহানা বিএসএমএমইউর কেবিন ব্লকের ৬২১ নম্বর রুমে খালেদাজিয়ার সঙ্গে দেখা করেন। এর আগে গত মঙ্গলবার বিএনপি দলীয় তিন এমপি উকিলআবদুস সাত্তার, হারুনুর রশীদ ও আমিনুল ইসলাম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎকরেছিলেন। সে সময় হারুনুর রশীদ এমপি সংবাদমাধ্যমকে বলেছিলেন, খালেদা জিয়াজামিন পেলে চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাবেন। একজন সংসদ সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে সমকালকে বলেন, তারা এমপিনির্বাচিত হওয়ার পর খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে পারেননি। তার দোয়া নিতেপারেননি। এজন্য তারা দলীয় নেত্রীর সঙ্গে দেখা করার পরিকল্পনা নেন। তিনিবলেন, খালেদা জিয়ার জামিনের বিষয়ে কোনো সমঝোতার আলোচনা থাকলে তা শুধু দলেরভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামআলমগীর ছাড়া আর কেউ জানেন না। খালেদা জিয়ার সঙ্গে ঘণ্টাব্যাপী সাক্ষাৎ শেষে জিএম সিরাজ বলেন, খালেদা জিয়ারাজনৈতিক বন্দি। তার জামিনের জন্য রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত দরকার। রাজনৈতিকসিদ্ধান্ত ছাড়া তার মুক্তি হবে না। সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তারকাছে সবিনয়ে অনুরোধ- খালেদা জিয়ার জামিনের জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করুন।আমলাতান্ত্রিক পরামর্শ না নিয়ে দয়া করে রাজনৈতিক দূরদর্শিতার পরিচয় দিয়েনেত্রীকে ছেড়ে দিন, জামিনের ব্যবস্থা করে দিন।জামিনের বিষয়টি আদালতের ব্যাপার- আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুলকাদেরের এরকম বক্তব্যের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে জিএম সিরাজ বলেন,রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত ছাড়া খালেদা জিয়ার মুক্তি হবে না। খালেদা জিয়া চিকিৎসারজন্য বিদেশে যাবেন কি-না প্রশ্ন করা হলে বগুড়া-৬ আসনের সাংসদ জিএম সিরাজবলেন, চিকিৎসার ব্যাপারে ম্যাডামের বক্তব্য হলো তিনি তো দেশেই বিশেষজ্ঞডাক্তারের চিকিৎসা পাচ্ছেন না। বিদেশে চিকিৎসার প্রয়োজন হলে যাবেন। বিদেশেযাওয়ার আগ্রহের কথা খালেদা জিয়া আপনাদের বলেছেন কি-না প্রশ্ন করা হলে তিনিবলেন, বিদেশে যাওয়ার বিষয়ে কোনো কথা হয়নি। আপনারা সমঝোতার কোনো বার্তা নিয়েগিয়েছিলেন কি-না প্রশ্ন করা হলে জিএম সিরাজ বলেন, তারা কোনো সমঝোতারবার্তার কথা জানেন না। 'যেখানে পরিবারের সদস্যরাই দেখা করতে চাইলে বিলম্বহচ্ছে- সেখানে আপনারা সাক্ষাৎ পাচ্ছেন। সরকারই আপনাদের পাঠাল কি-না প্রশ্নকরা হলে সংরক্ষিত নারী এমপি ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেন, একদমই না।প্যারোলে মুক্তির বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে ব্যারিস্টার রুমিন বলেন, তিনিসরাসরি প্যারোলের বিষয়ে ম্যাডামকে বলেছিলেন। ম্যাডাম তাকে বলেছেন, জামিনতার হক। দেশের আইন অনুযায়ী তিনি এখনই জামিন লাভের যোগ্য। কোনো রকমের অপরাধতিনি করেননি। সুতরাং এখানে প্যারোলের প্রশ্ন কেন আসবে?পৃথকভাবে দুই দিনে খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করার বিষয়ে জিএম সিরাজ বলেন,একসঙ্গে ৪ জনের বেশি দেখা করার বিধান নেই। সেজন্য দুই দফায় নেত্রীর সঙ্গে ৭জন সাক্ষাৎ করেছেন।মামলার সর্বশেষ অবস্থা :খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ৩৬টি মামলা বর্তমানেবিচারাধীন থাকলেও কারামুক্তিতে বাধা দুই মামলা। নানা আইনি জটিলতায় মুক্তিমিলছে না খালেদা জিয়ার। খালেদা জিয়ার কারামুক্তিতে এখন অন্তত দুই মামলায়জামিন পেতে হবে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়াচ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার ১৭ বছর কারাদণ্ড হয়েছে। এদুটি মামলায় উচ্চ আদালত থেকে খালেদা জিয়াকে জামিন নিতে হবে। খালেদা জিয়ার আইনজীবী প্যানেলের সদস্য ব্যারিস্টার এহসানুর রহমান সমকালকেজানিয়েছেন, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায়উচ্চ আদালত থেকে খালেদা জিয়াকে জামিন নিতে হবে। বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেনসমকালকে বলেন, খালেদা জিয়াকে মুক্তি পেতে হলে দুটি মামলায় জামিন পেতে হবে।আগামী ১৩ অক্টোবর উচ্চ আদালতের অবকাশের পর দুটি মামলায় জামিনের জন্য ফেরআবেদন করা হবে এবং জামিন হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন এই জ্যেষ্ঠ আইনজীবী। অন্যদিকে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম সমকালকে বলেন, খালেদা জিয়ারজামিনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবেন আদালত। কোন মামলায় তার জামিন হবে বা হবে নাসেটা সরকার বলতে পারে না। এখানে সরকারের কোনো হাত নেই। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী খুরশীদ আলম খান সমকালকে বলেন, আইনেরপ্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বিএনপির এমপিরা কীভাবে সরকারের কাছে জামিন চাইতেযান, এটা আমার বোধগম্য নয়। বিচারাধীন মামলায় সরকার কীভাবে খালেদা জিয়াকেজামিন দেবে, আমার জানা নেই।
খালেদা জিয়ার মুক্তি
স্বামীকে নিতে ফরিদপুরে আমেরিকার শ্যারুন
প্রকাশ: ০২ অক্টোবর ২০১৯ | ১৪:০১
সকল বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে হাজার মাইল পাড়ি দিয়ে স্বামী আশরাফ উদ্দিনকে (২৬) সঙ্গে করে যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে যেতে বাংলাদেশের ফরিদপুরে এসেছেন নিউইয়র্কের নারী শ্যারুন খান (৪০)।প্রেমের টানে গত বছরের ৫ এপ্রিল বাংলাদেশে আসেন শ্যারুন। এরপর ওই বছরের ১০ এপ্রিল ঢাকায় একটি কাজি অফিসে আশরাফের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। প্রায় দেড় বছর পর বুধবার (১ অক্টোবর ২০১৯) তাদের বউভাতের অনুষ্ঠান হয়। এর আগে গত ২০ সেপ্টেম্বর স্বামীকে নিউইয়র্কে নিতে বাংলাদেশে আসেন শ্যারুন।ফরিদপুর সদর উপজেলার কানাইপুর ইউনিয়নের ঝাউখোলা গ্রামের মো. আলাউদ্দিন মাতুব্বরের ছেলে আশরাফ উদ্দিন। তিনি (আশরাফ) ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতকোত্তর করেছেন। এক ভাই ও দুই বোনের মধ্যে সবার বড় আশরাফ। তার বাবা পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে গাড়িচালক পদে কর্মরত।শ্যারুন খান আমেরিকান মুসলিম। তিনি নিউইয়র্কে একটি ব্যাংকে কর্মরত বলে জানিয়েছেন। তার বাবা সলেমান খান ও মা এলিজা খান। দুই বোনের মধ্যে শ্যারুন বড়।আশরাফ জানান, শ্যারুনের সঙ্গে তার পরিচয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। তারপর এক সময় তারা প্রেমে জড়িয়ে পড়েন।আশরাফ বলেন, 'ওর মধ্যে কোনো জটিলতা, সন্দেহ বা অবিশ্বাসের ছায়া দেখিনি। আসলে জীবনে বাঁচতে হলে শান্তিটাই মুখ্য, বয়স বেশি না কম কিংবা দেখতে ভালো না খারাপ, সেটা বিচার্য কোনো বিষয় নয়।'শ্যারুন কেন বাংলাদেশে আশরাফকে বিয়ে করতে ছুটে আসলেন- এমন প্রশ্নে মার্কিন এই নারী বলেন, আমেরিকা খুব ব্যস্ত। সেখানে কেউ কারও কোনো খবর নেয় না। এমনকি নিকটাত্মীয়ও না। কিন্তু পরিচয়ের পর থেকে আশরাফ সব সময় তার খোঁজখবর নিতেন। তিনি খেয়েছেন কি-না, শরীর কেমন আছে- এসব জানতে চাইতেন। আশরাফের এমন আচরণে তিনি আপ্লুত হয়েছেন।শ্যারুনের ভাষ্য, প্রেম বা বিয়ে যা-ই বলা হোক না কেন, এর মূল ভিত্তি হচ্ছে 'কেয়ারিং'। শ্যারুন জানান, এবার তিনি বাংলাদেশে এসেছেন মূলত স্বামীকে নিয়ে যাওয়ার জন্য। আশরাফের জন্য ভিসা পেতে যত দিন লাগে, তত দিনই তিনি এখানে থাকবেন।এদিকে গ্রামের বাড়িতে হওয়া আশরাফের বউভাত অনুষ্ঠানে ছিল উৎসবমুখর। এই অনুষ্ঠানে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের পাশাপাশি আশপাশের সব লোকেরই নিমন্ত্রণ ছিল বলে জানিয়েছেন আশরাফের বাবা আলাউদ্দিন মাতুব্বর।আলাউদ্দিন মাতুব্বর পুত্রবধূ শ্যারুন প্রসঙ্গে বলেন, 'আমাদের সঙ্গে বউমা এমন ব্যবহার করছে যে, আমরা অত্যন্ত খুশি। সে বাংলা না বুঝলেও আমাদের তার ভাষা বুঝতে কষ্ট হচ্ছে না।'আশরাফের মা নার্গিস আক্তার বলেন, 'এমন বউ পেয়ে আমি এত খুশি, তা বলার নয়। শ্যারুন আমাকে আম্মু বলে যে ডাকটি দেয়, তাতে আমি গর্ব অনুভব করি।'
প্রেমের টানে ফরিদপুরে, প্রেমের টানে
রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত ছাড়া খালেদা জিয়ার মুক্তি হবে না: সিরাজ
প্রকাশ: ০২ অক্টোবর ২০১৯ | ১৪:২৩
রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত ছাড়া বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি হবে না বলে মন্তব্য করেছেন দলটির নেতা ও বগুড়া-৬ আসনের সংসদ জিএম সিরাজ।বুধবার বিকেলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়-বিএসএমএমইউতে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাতের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।এদিন জিএম সিরাজসহ বিএনপি দলীয় চার সংসদ সদস্য বিএসএমএমইউতে খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। অপর তিনজন হলেন- বগুড়া-৪ আসনের মোশাররফ হোসেন, ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের জাহিদুর রহমান জাহিদ ও সংরক্ষিত নারী আসনের সাংসদ রুমিন ফারহানা। বিকেল সোয়া ৩টার দিকে তারা বিএসএমএমইউর কেবিন ব্লকের ৬২১ নম্বর রুমে খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করেন।এর আগে গত মঙ্গলবার বিএনপি দলীয় তিন এমপি উকিল আবদুস সাত্তার, হারুনুর রশীদ ও আমিনুল ইসলাম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন। সে সময় হারুনুর রশীদ এমপি সংবাদমাধ্যমকে বলেছিলেন, খালেদা জিয়া জামিন পেলে চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাবেন।একজন সংসদ সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে সমকালকে বলেন, তারা এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে পারেননি। তার দোয়া নিতে পারেননি। এজন্য তারা দলীয় নেত্রীর সঙ্গে দেখা করার পরিকল্পনা নেন। তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার জামিনের বিষয়ে কোনো সমঝোতার আলোচনা থাকলে তা শুধু দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাড়া আর কেউ জানেন না।খালেদা জিয়ার সঙ্গে ঘণ্টাব্যাপী সাক্ষাৎ শেষে জিএম সিরাজ সাংবাদিকদের বলেন, খালেদা জিয়া রাজনৈতিক বন্দি। তার জামিনের জন্য রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত দরকার। রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত ছাড়া তার মুক্তি হবে না। সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তার কাছে সবিনয়ে অনুরোধ- খালেদা জিয়ার জামিনের জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করুন। আমলাতান্ত্রিক পরামর্শ না নিয়ে দয়া করে রাজনৈতিক দূরদর্শিতার পরিচয় দিয়ে নেত্রীকে ছেড়ে দিন, জামিনের ব্যবস্থা করে দিন।জামিনের বিষয়টি আদালতের ব্যাপার- আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এরকম বক্তব্যের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে জিএম সিরাজ বলেন, রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত ছাড়া খালেদা জিয়ার মুক্তি হবে না।খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাবেন কি-না প্রশ্ন করা হলে বগুড়া-৬ আসনের এই সাংসদ বলেন, চিকিৎসার ব্যাপারে ম্যাডামের বক্তব্য হলো তিনি তো দেশেই বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের চিকিৎসা পাচ্ছেন না। বিদেশে চিকিৎসার প্রয়োজন হলে যাবেন।বিদেশে যাওয়ার আগ্রহের কথা খালেদা জিয়া আপনাদের বলেছেন কি-না প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, বিদেশে যাওয়ার বিষয়ে কোনো কথা হয়নি। আপনারা সমঝোতার কোনো বার্তা নিয়ে গিয়েছিলেন কি-না প্রশ্ন করা হলে জিএম সিরাজ বলেন, তারা কোনো সমঝোতার বার্তার কথা জানেন না। 'যেখানে পরিবারের সদস্যরাই দেখা করতে চাইলে বিলম্ব হচ্ছে- সেখানে আপনারা সাক্ষাৎ পাচ্ছেন। সরকারই আপনাদের পাঠাল কি-না প্রশ্ন করা হলে সংরক্ষিত নারী এমপি ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেন, একদমই না।প্যারোলে মুক্তির বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে ব্যারিস্টার রুমিন বলেন, তিনি সরাসরি প্যারোলের বিষয়ে ম্যাডামকে বলেছিলেন। ম্যাডাম তাকে বলেছেন, জামিন তার হক। দেশের আইন অনুযায়ী তিনি এখনই জামিন লাভের যোগ্য। কোনো রকমের অপরাধ তিনি করেননি। সুতরাং এখানে প্যারোলের প্রশ্ন কেন আসবে?পৃথকভাবে দুই দিনে খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করার বিষয়ে জিএম সিরাজ বলেন, একসঙ্গে ৪ জনের বেশি দেখা করার বিধান নেই। সেজন্য দুই দফায় নেত্রীর সঙ্গে ৭ জন সাক্ষাৎ করেছেন।
খালেদা জিয়া, বিএনপিদলীয় এমপি, জিএম সিরাজ, রুমিন ফারহানা, খালেদা জিয়ার জামিন
সুয়ারেজের গোলে বার্সার জয়
প্রকাশ: ০২ অক্টোবর ২০১৯ | ১৫:২০
ক্যাম্প ন্যুতে চোখ ছিল লিওনেল মেসির দিকে। বার্সার সেরা তারকা খেলবেন কি-না সেই প্রশ্নের উত্তর আগে পাওয়া যায়নি। খেললেও বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের মতে দ্বিতীয়ার্ধে খেলবেন কি-না সেই প্রশ্নও ছিল। তবে মেসি ঘরের মাঠে ইতালি জায়ান্ট ইন্টার মিলানের বিপক্ষে শুরু থেকেই খেললেন। তবে শরীরের আড়মোড় ভাঙার আগেই গোল খেয়ে যায় তার দল। শেষ পর্যন্ত লুইস সুয়ারেজের জোড়া গোলে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে কাতালানরা।বার্সা সমর্থকরা হয়তো তখনও সিট খুঁজে বসতে পারেননি। টিভি পর্দায় চোখ রাখা ভক্তরা হয়তো পর্দাও খোলেনি। এরই মধ্যে গোল হজম করে বসে এরনেস্তো ভালভার্দের দল। ম্যাচের ২ মিনিটের মাথায় ইন্টার মিলানের আজেন্টিনা স্ট্রাইকার লওতারো মার্টিনেজ গোল করে দলকে এগিয়ে নেন। নিস্তব্ধ হয়ে যায় ক্যাম্প ন্যু। কাতালানরা সেই নিস্তব্ধতা নিয়েই প্রথমার্ধ শেষ করে। এরপর দ্বিতীয়ার্ধে ত্রাতা হয়ে আসেন উরুগুয়ের বার্সা স্ট্রাইকার সুয়ারেজ। তিনি ম্যাচের ৫৮ মিনিটে গোল করে দলকে বিপদের হাত থেকে বাঁচান। সমতা এনে দেন দলকে। তাকে বলের জোগান দেন আর্তুরো ভিদাল। তবে বার্সার জন্য সমতা মানেই মান বাঁচানো নয়। বরং ঘরের মাঠে ড্র করে মাঠ ছাড়া মানেই লজ্জার ব্যাপার। সুয়ারেজ ‌ম্যাচের ৮৪ মিনিটে দলকে সেই লজ্জা থেকে বাঁচান। দলকে চ্যাম্পিয়নস লিগের প্রথম রাউন্ডে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ইন্টারের বিপক্ষে এনে দেন জয়।এর আগে বার্সা চ্যাম্পিয়নস লিগের গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচে বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে সমতা নিয়ে মাঠ ছাড়ে। মেসি ওই ম্যাচে ইনজুরি কাটিয়ে দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নামেন। কিন্তু দলকে জয় উপহার দিতে পারেননি তিনি।
খেলা, ফুটবল, চ্যাম্পিয়নস লিগ-২০২০, বার্সেলোনা-ইন্টার মিলান
সাত গোলের ম্যাচে লিভারপুলের জয়
প্রকাশ: ০২ অক্টোবর ২০১৯ | ১৬:০০
ইংলিশ লিগে দুর্দান্ত গতিতে ছুটছে লিভারপুল। কিন্তু চ্যাম্পিয়নস লিগের শুরুর ম্যাচে চ্যাম্পিয়নরা নাপোলির বিপক্ষে ২-০ গোলের হারে শুরু করে। বুধবার রাতের ম্যাচে অ্যানফিল্ডে সলসবার্গের বিপক্ষে তাই ঘুরে দাঁড়াতে হতো লিভারপুলের। সেভাবেই শুরু করে অল রেডসরা। জার্গেন ক্লপের শিষ্যরা ৩-০ গোলে এগিয়ে যায়। তবে শেষ পর্যন্ত ৪-৩ গোলের কষ্টের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে সর্বশেষ আসরের শিরোপাধারীরা।অল রেডসরা যেন এ ম্যাচে অস্ট্রিয়ান ক্লাব রেড বুলস সলসবার্গকে দুমড়ে-মুচড়ে দেওয়ার প্রত্যয় নিয়ে মাঠে নেমেছিল। ম্যাচের নয় মিনিটের মাথায় সেনেগাল তারকা সাদিও মানের গোলে এগিয়ে যায় লিভারপুল। তাকে গোলে সহায়তা দেন অল রেডসদের নাম্বার নাইন রর্বাতো ফিরমিনো। এরপর ২৫ মিনিটে রবার্টসনের গোলে ২-০ গোলের লিড নেয় স্বাগতিকরা। কিছু বুঝে ওঠার আগেই ৩৬ মিনেটে মোহামেদ সালাহ ব্যবধান ৩-০ করে ফেলেন। এরপরই যেন ঘুম ভাঙে সলসবার্গের। ম্যাচের ৩৯ মিনিটে এক গোল শোধ দেয় তারা। লিভারপুলের জালে গোল দেওয়া যায়, এই আত্মবিশ্বাস নিয়ে প্রথমার্ধ শেষ করে অস্ট্রিয়ান ক্লাবটি। এরপর দ্বিতীয়ার্ধের ৫৬ মিনিটে আবার সলসবার্গের শো'। মিনামিনোর গোলে ব্যবধান কমিয়ে ৩-২ করে ফেলে তারা। লিভারপুলকে জানিয়ে দেয় চ্যাম্পিয়নস লিগের ম্যাচে ছোট দল বলে কিছু নেই। প্রমাণ স্বরূপ দুই মিনিট বাদে আবার লিভারপুল গোলরক্ষক আদ্রিয়ানোর গ্লাভস ফাঁকি দেয় বল। কিন্তু অফসাইটে বাতিল হয় গোলটি। যদিও রেফারির ওই সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্ক আছে।তবে সলসবার্গ যেন ছেড়ে দেওয়ার পাত্র নয়। ম্যাচের ৬০ মিনিটে হ্যালান্ডের গোলে সমতায় ফেরে তারা। স্বপ্ন দেখতে থাকে জয় নিয়ে ঘরে ফেরার। কিন্তু একজন মোহামেদ সালাহ সেটা হতে দেননি। ম্যাচের ৬৯ মিনিটে দলের হয়ে জয়সূচক গোলটি করেন তিনি। তাকে গোলে সহায়তা দেন ফিরমিনো। ব্রাজিল স্ট্রাইকার গোল করতে না পারলেও দলের জয়ে দুই গোলে সহায়তা দেন।চ্যাম্পিয়নস লিগের অন্য ম্যাচে লিলিকে ২-১ গোলে হারিয়েছে চেলসি। দলের হয়ে টেমি আব্রাহাম ও উইলিয়াম গোল করেন। স্পেনে এসে ডাচ ক্লাব আয়াক্স ৩-০ গোলে ভ্যালেন্সিয়াকে হারিয়েছে। গোল করেছেন জায়িক ও ভ্যান ডি বিক। লিপজিগকে ২-০ গোলে হারিয়েছে অলিম্পিয়াকো। অন্য ম্যাচে ঘরের মাঠে জেনিথ ৩-১ গোলে বেনফিকাকে উড়িয়ে দিয়েছে।
খেলা, ফুটবল, লিভারপুল-সলসবার্গ, চ্যাম্পিয়নস লিগ-২০২০