Title
stringlengths 1
106
| Time
stringlengths 28
73
| Content
stringlengths 0
42.5k
| Tags
stringlengths 0
210
|
---|---|---|---|
ধানমন্ডি লেক থেকে শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার | প্রকাশ: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ | ১২:১০ | আপডেট: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ | ১২:৪৪ | রাজধানীর ধানমন্ডি লেক থেকে হৃদয়ঈম ঋদ্ধ (১৭) নামের এক শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার রাত আটটার দিকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা তার লাশ উদ্ধার করেন।নিহত ঋদ্ধ রাজধানীর আদাবর থানাধীন শেখেরটেক ৫ নম্বর রোডের ৪৯ নম্বর বাসায় পরিবারের সঙ্গে থাকতেন। তার বাবার নাম নীলমণি ভট্টাচার্য। ঋদ্ধ ডেফোডিল ইউনিভার্সিটি কলেজের উচ্চমাধ্যমিক প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।ধানমন্ডি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রুবেল আজাদ সাংবাদিকদের জানান, রোববার বিকালে লেকের পানিতে সাঁতার কেটে লেকের মাঝখানে গিয়ে ডুবে যান তিনি। আশপাশের লোকজন দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেন। পরে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা তাকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করেন। খবর পেয়ে সোমবার সকালে পরিবারের সদস্যরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে এসে ঋদ্ধের লাশ শনাক্ত করেন।পরে ময়নাতদন্ত শেষে বিকেলে তার লাশ বাসায় নিয়ে যায় পরিবার। | ধানমন্ডি লেক, লাশ উদ্ধার |
অনলাইনে ক্যাসিনোর মূলহোতা সেলিমের বাসায় র্যাবের অভিযান | প্রকাশ: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ | ১২:৩৯ | আপডেট: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ | ১৩:৪৮ | অনলাইনে ক্যাসিনো চালিয়ে বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগে আটক সেলিম প্রধানের গুলশানের বাসায় অভিযান চালাচ্ছে র্যাপিড অ্যাকশান ব্যাটালিয়ন (র্যাব-১)।সোমবার রাত ১০টার দিকে গুলশান-২ এর ৯৯ নম্বর সড়কে অবস্থিত ১১/এ, 'মমতাজ ভিশন' নামের ছয় তলা বাড়িটির পঞ্চম তলায় অভিযান শুরু করেন র্যাব সদস্যরা। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত রাত সাড়ে ১২টার সময়ও অভিযান অব্যাহত রয়েছে।র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লে. কর্নেল সারওয়ার-বিন-কাশেম গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।এর আগে সোমবার দুপুরে থাই এয়ারওয়েজের একাটি বিমানে ঢাকা ছাড়ার সময় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমান থেকে তাকে নামিয়ে আনা হয়। পরে তাকে র্যাব-১ এর কার্যালয়ে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সেলিম প্রধানের গুলশানের বাসায় অভিযান চালাচ্ছে র্যাব। | অনলাইনে ক্যাসিনো, বিদেশে অর্থ পাচার, সেলিম প্রধান, র্যাবের অভিযান |
গণতন্ত্রে ঐকমত্য চাই | প্রকাশ: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ | ১৩:২৯ | গণতন্ত্র নিয়ে আলোচনা-পর্যালোচনা চলছেই। আমাদের দেশে গণতন্ত্রের হাল-হকিকতসম্পর্কে উদ্বেগেরও শেষ নেই। গণতন্ত্রের প্রকৃত সংজ্ঞাসূত্র মোতাবেকবাংলাদেশে গণতন্ত্র বিদ্যমান কি-না, এ নিয়ে বিস্তর তর্ক আছে। সামাজিক ওরাজনৈতিক ব্যবস্থা হিসেবে গণতন্ত্র অনেক পুরনো এবং আদর্শ হিসেবেমানবসভ্যতার মতোই প্রাচীন। অনেক রাষ্ট্রবিজ্ঞানীর মতে, আদিম সমাজে বিদ্যমানছিল এক ধরনের সমতাভিত্তিক সমবণ্টনকেন্দ্রিক ব্যবস্থা। বিদ্যমান ছিল গ্রুপবা গোত্রের সঙ্গে এক ধরনের একাত্মতা আর ছিলসাম্য-সহমর্মিতা-সমবেদনাকেন্দ্রিক সাম্য। রবার্ট ডালের কথায়, আদিমকাল থেকেইশাসনব্যবস্থা সম্পর্কে সমাজের মানুষ ভেবেছেন। তাদের রয়েছে রাজনৈতিকক্ষেত্রে সমমর্যাদাসম্পন্ন অবস্থান, সামগ্রিকভাবে তারা সার্বভৌম এবং তাদেররয়েছে নিজেদের শাসন করার উপযোগী সক্ষমতার সম্পদ ও প্রতিষ্ঠান। সমাজ বৃহৎথেকে বৃহত্তর হলে এবং সামাজিক ও অর্থনৈতিক সমস্যা জটিল হয়ে উঠলেশাসনব্যবস্থায় স্তর ও পর্যায় সৃষ্টি হতে থাকে। ফলে কিছু দক্ষ ব্যক্তিরপ্রভাব স্বীকৃত হয় বটে; কিন্তু সাধারণ মানুষের চাহিদা কোনোক্রমে উপেক্ষিতহয়নি। সবাই মিলে শাসন এবং নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা পালন করেছেন। এভাবেশাসনব্যবস্থা হিসেবে গণতন্ত্রের উত্থান ঘটে খ্রিষ্টের জন্মের ৫০০ বছর আগে।তখন গ্রিসের নগররাষ্ট্রগুলোতে একটু একটু করে এ ব্যবস্থা স্থিতিশীল হয়।গ্রিস থেকে রোমে এর বিস্তৃতি ঘটে।ইতিহাসের পাতায় চোখ রাখলে দেখি, গ্রিসের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে পদদলিত ওসব নগররাষ্ট্রকে ঐক্যবদ্ধ করে বিশ্বজয়ের অভিযান শুরু করেছিলেন একজনখ্যাতনামা গ্রিক দিজ্ঞ্বিজয়ী এবং তিনি আলেকজান্ডার। শুধু গ্রিস কেন, উত্তরআফ্রিকা, পশ্চিম এশিয়া ও মধ্য এশিয়ার বিস্তীর্ণ অঞ্চল দখল করে তিনিউত্তর-পশ্চিম ভারত পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছিলেন। অন্যদিকে রোমান ব্যবস্থাপর্যুদস্ত হয় হুন, শক ইত্যাদি বর্বর জাতির বিজয় অভিযানে। রোম দখল করে তাদেরসংস্কৃতিচর্চা ও গণতন্ত্র দেখে কোনো কোনো নেতা অট্টহাসি দিয়ে বলেছিলেন,এখন আর এসব আবর্জনার কোনো প্রয়োজন নেই। কুঠারাঘাতে রোমের বহু নাট্যশালাতারা মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিয়েছিলেন। এভাবে গ্রিক ও রোমানদের গণতান্ত্রিকব্যবস্থা প্রায় নিঃশেষ হয়ে আসে। কিন্তু সাধারণ মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা,বিশেষ করে স্বশাসনের প্রতি মানুষের যে সহজাত দুর্বলতা, তা তো চিরঞ্জীব। তারতো মৃত্যু নেই। হঠাৎ তখনকার সভ্য দুনিয়া অবলোকন করলেন, ঊষর মরু অঞ্চলেরখেজুর বীথির পাশে এক গ্রামীণ পরিবেশে ৬২২ খ্রিষ্টাব্দে ইয়াসরেব লোকালয়মদিনা নাম ধারণ করে নতুনভাবে, একেবারে নতুন আঙ্গিকে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রগঠন করে ফেলেছে; তাও ওই এলাকায় বসবাসকারী বিভিন্ন ধর্মের, বিভিন্ন গোত্রের,বিভিন্ন সম্প্রদায়ের জনসমষ্টির রাষ্ট্র গঠনের এক চুক্তির মাধ্যমে। শুধুতাই নয়, তারা একটি সুলিখিত সংবিধান রচনাও করেছেন। এ সংবিধান 'মদিনা সনদ'নামে খ্যাত। নেতৃত্বে ছিলেন মক্কায় জন্মগ্রহণকারী ইসলামের রাসুল হজরতমুহাম্মদ (সা.)। বিশ্বের সর্বত্র তখন রাজরাজড়ার শাসন। সম্রাট ওধর্মযাজক-পোপের আধিপত্য। বিশ্বময় সাহারা মরুভূমির মধ্যে মদিনা রাষ্ট্র যেনছোট্ট এক মরূদ্যান। এ রাষ্ট্রের শাসনব্যবস্থার সবচেয়ে উলেল্গখযোগ্যবৈশিষ্ট্য ছিল- শাসনকারীদের ন্যায়ানুগ কর্মকাণ্ড, তাদের স্বচ্ছ নীতিমালাএবং জনগণের কাছে জবাবদিহি। চুক্তির মাধ্যমে সৃষ্ট মদিনা রাষ্ট্রের সনদ হয়েওঠে বিশ্বে সর্বপ্রথম লিখিত সংবিধান। সাম্য, শান্তি ও সৌভ্রাতৃত্ব হয় এরস্লোগান। এই প্রেক্ষাপটে প্রশ্ন উঠতেই পারে, বাংলাদেশের রাজনীতিপ্রকৃতপক্ষে কতটা আদর্শিক গণতান্ত্রিক রাজনীতি! সবসময় বলা হয়েছে, গণতন্ত্র একান্তভাবে পাশ্চাত্যের এবং পাশ্চাত্যের বিভিন্নগবেষক-সমালোচকদের সুচিন্তিত অভিমত ও বিশ্লেষণের ফলেই গণতন্ত্র সমৃদ্ধহয়েছে। এ বিবরণ সঠিক নয়, নয় পরিপূর্ণ। ২০০০ সালে প্রকাশিত 'দি গ্লোবালঅ্যাডভান্স অব ডেমোক্রেসি' গ্রন্থে আদেল সাফটি সত্যই বলেছেন, 'আলোকিত যুগেরইউরোপীয় চিন্তাবিদরা গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার উৎস যে মূল্যবোধ, তাবিশ্লেষণে সর্বপ্রথমে লেখনী ধারণ করেননি। তাদের বহু আগেই এর ব্যাখ্যাদিয়েছেন মুসলিম দার্শনিকরা। প্রকৃত প্রস্তাবে জন লক এবং রুশোর বহু আগেআলফারাবি গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার ভিত্তিরূপে স্বাধীনতা, সাম্য ও জনগণেরসম্মতি সম্পর্কে মনোজ্ঞ আলোচনা করেছেন।' দীর্ঘদিন ধরে এ প্রক্রিয়ার ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া সমাজকে নতুনভাবে সুসজ্জিতকরে। এ প্রক্রিয়ার অনুধাবনে একটি দৃষ্টান্তই যথেষ্ট। ১৮৯৩ সালে সর্বপ্রথমনারীদের ভোটাধিকার দেওয়া হয় নিউজিল্যান্ডে। অস্ট্রেলিয়ায় তা স্বীকার করা হয়১৯০২ সালে, যুক্তরাষ্ট্রে ১৯২০ সালে ও ব্রিটেনে ১৯২৮ সালে। যে ফ্রান্সেশাসনব্যবস্থাকে ওলটপালট করে বিপল্গবের জন্ম হয়েছে ১৭৮৯ সালে, সেই ফ্রান্স ওবেলজিয়ামে নারীরা ভোটাধিকার লাভ করেন ১৯৪৭ সালে। ইউরোপের সবচেয়েস্থিতিশীল, অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে অনেক উন্নত এবং সৃজনশীলতায় অগ্রগামী রাষ্ট্রসুইজারল্যান্ডে নারীদের ভোটাধিকার দেওয়া হয় ১৯৭১ সালে অর্থাৎ বাংলাদেশেরস্বাধীনতার বছরে। এদিক থেকে বলা যায়, রাজনৈতিক আদর্শ হিসেবে গণতন্ত্রপ্রাচীনতম বটে; গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র কিন্তু সাম্প্রতিককালের, এক অর্থে বিশশতকের। ইতিহাসে সর্বপ্রথম এই সময়ে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের সংখ্যা সর্বাধিক। একসমীক্ষায় জানা যায়, বিশ্বের সমগ্র জনসমষ্টির ৬৫ শতাংশ এখন বাস করছেনগণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার অধীনে। পাশ্চাত্য ও মুসলিম বিশ্ব, বিশেষ করে আরববিশ্বের মধ্যে প্রধান পার্থক্য হলো পাশ্চাত্য রেনেসাঁ ও রিফরমেশনআন্দোলনের ফলে যেভাবে এনলাইটেনমেন্ট যুগে বা আলোকিত যুগে পা ফেলে এবংবিভিন্ন বিপল্গবের পরে যেভাবে গণঅধিকার সম্পর্কে সচকিত হয়ে ওঠে, মুসলিমবিশ্বে তার ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া তেমন প্রভাবশালী হয়ে ওঠেনি। মধ্যযুগ অতিক্রমকরে পাশ্চাত্য আধুনিকতার সরোবরে যেভাবে অবগাহনের সুযোগ লাভ করে, মুসলিমবিশ্বে তেমন সুযোগ আসেনি। এ ছাড়া উনিশ শতকের শিল্পবিপল্গব যেভাবে ইউরোপেনতুন সমাজের পত্তন করে, আরব বিশ্বে তাও ছিল অনুপস্থিত। শিল্পবিপল্গবের ফলেইউরোপের বিভিন্ন স্থানে শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠে। পণ্য ক্রয়-বিক্রয়ের জন্যবাণিজ্যের বহুমুখী নেটওয়ার্ক তৈরি হয় দেশে-বিদেশে। বিজ্ঞানের চর্চা শুরুহয় নতুনভাবে। নব নব প্রযুক্তি আবিস্কারের ফলে সমাজে বৈপল্গবিক পরিবর্তনেরসূচনা হয়। শ্রমিক শ্রেণি প্রভাবশালী হয়ে ওঠে। জন্মলাভ করে মধ্যবিত্তশ্রেণি। শিল্পপতি, বড় বড় ব্যবসায়ী উৎপাদকদের কাছে মাথানত করতে বাধ্য হয়।আরব বিশ্বে এ ধরনের কোনো পরিবর্তন ঘটেনি।এটি অবশ্য সত্য, তখনকার শাসনব্যবস্থাগুলোর প্রকৃতি ছিল ভিন্ন এবংআধুনিককালের প্রতিনিধিত্বমূলক সরকার থেকে তা ছিল হাজার যোজন দূরের। ওই সবশাসনব্যবস্থা বিভিন্নভাবে ছিল সীমিত, অপরিণত, অনেকটা প্রাথমিক পর্যায়ের।গ্রিক ও রোমান সাম্রাজ্যের পতনের ফলে সমগ্র বিশ্বে সৃষ্টি হয় সামন্তবাদী একঅন্ধকারাচ্ছন্ন যুগের। গণতন্ত্রের চেতনা দলিত-মথিত করে সামন্ত প্রভুরাখণ্ডছিন্ন জনপদে প্রতিষ্ঠা করে তাদের ব্যক্তিগত আধিপত্য এবং সেই আধিপত্যেরনিগড়ে আষ্টেপৃষ্ঠে বন্দি হয় গণতান্ত্রিক চেতনা। ইউরোপব্যাপী এ অবস্থারসৃষ্টি হয়। রাজনৈতিক ইতিহাসে এ সময়কাল মধ্যযুগ বলে পরিচিত। একদিকে ধর্মীয়উন্মাদনা, অন্যদিকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতাকে কেন্দ্র করে সামন্তপ্রভু ও আরও পরেরাজন্যবর্গের সঙ্গে পোপদের তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা, দ্বন্দ্ব ও দীর্ঘকালীনপরিসরে রাজতন্ত্রের প্রচণ্ড দাপট এবং তাদের পারস্পরিক সংঘাতের ফলেগণতন্ত্রের ধারণা সমাজ জীবন থেকে হয় নির্বাসিত। এ অবস্থা অব্যাহত থাকেদীর্ঘদিন। দীর্ঘদিনের অগণতান্ত্রিকতার ঘন অন্ধকার থেকে অবশেষে আধুনিকগণতান্ত্রিক ব্যবস্থার কাঠামো এবং কার্যক্রম সুস্পষ্ট হতে থাকে আঠারো শতকেরইউরোপ ও উত্তর আমেরিকায় সংঘটিত কিছু গণভিত্তিক আন্দোলন ও বিপল্গবেরমাধ্যমে।এর দুর্দম তরঙ্গ সমগ্র ইউরোপকে আন্দোলিত করতে থাকে কয়েক শতাব্দী ধরে এবংগভীরভাবে প্রভাবিত করে ইউরোপের শিল্পকলা-সাহিত্য ও সংস্কৃতিকে। মানবতারবিজয় ছিল এর প্রধান স্লোগান। প্রত্যেকের মনে আত্মবিশ্বাসের সূত্রকে সুদৃঢ়করা ছিল এর লক্ষ্য। সীমাহীন সম্ভাবনার অধিকারী যে মানুষ, তার স্বীকৃতি ছিলএর মৌল সুর। পাশ্চাত্যে মানুষ আবেগের পরিবর্তে যুক্তির প্রাধান্য স্বীকারকরেন। ব্যক্তি-আধিপত্যের পরিবর্তে আইনের সার্বভৌমত্বে বিশ্বাসী হয়ে ওঠে।আইনে যে তাদেরই স্বার্থ প্রতিফলিত হতে হবে, তা শাসকদের মানতে বাধ্য করেন।তাদের প্রতিনিধিত্ব ছাড়া শাসক যে তাদের ওপর কোনো কর আরোপ করতে পারবেন না,তা শাসককে মানতে বাধ্য করেন। সর্বোপরি, তাদের সম্মতির ভিত্তিতে যে সরকারগঠিত হবে এবং তাদের সম্মতিসাপেক্ষে সরকার অব্যাহত থাকবে, তা সরকারকেস্বীকার করতে বাধ্য হন। এভাবে পাশ্চাত্যে গণতন্ত্রের শিকড় জনসমাজে গভীরেপ্রবেশ করতে শুরু করে। বাংলাদেশের গণতন্ত্র আরোপিত, গণতন্ত্রের প্রকৃত সংজ্ঞা-সূত্র মোতাবেকপ্রকৃত গণতন্ত্র নয়; এই বক্তব্য অমূলক নয়। আমাদের প্রেক্ষাপটে গণতন্ত্রেরচালচিত্র কেমন! স্বাধীন বাংলাদেশের বয়স প্রায় পাঁচ দশক ছুঁই ছুঁই। আমাদেরদেশের সাধারণ মানুষের আকাঙ্ক্ষায় রয়েছে গণতন্ত্র এবং এই গণতন্ত্রের জন্যতাদের ত্যাগ কম নয়। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, আমাদের গণতন্ত্রকে এখনও আমরাপ্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে পারিনি। গণতন্ত্র গণতন্ত্র বলে শাসক মহল হৈচৈকরলেও প্রকৃত অর্থে গণতন্ত্রের অবস্থা ভালো নয়। এখানে সর্বাংশে গণতান্ত্রিকঅধিকার স্বীকৃত নয়। রাজনীতির মাঠ নয় সমতল। গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক অধিকারএখনও এখানে সোনার হরিণ। গণতন্ত্র মানে তো শুধু নির্বাচন নয়। আর নির্বাচনেরনামে এখানে বিগত কয়েক বছর ধরে যা হচ্ছে, তা গণতন্ত্রের সৌন্দর্যহানিই শুধুঘটায়নি, কঠিন প্রশ্নের মুখেও ফেলে দিয়েছে। গণতন্ত্রে ঐকমত্য চাই। চাইপরমতসহিষুষ্ণতা। চাই সবার সমান অধিকার। কিন্তু এর কোনোটি এখানে অবাধ নয়।এমতাবস্থায় গণতন্ত্র ও বাংলাদেশ যেন দুই বিপরীত মেরুতে।রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ও সাবেক উপাচার্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় | রাজনীতি |
লাউড়ের দুর্গ এখন সংরক্ষিত পুরাকীর্তি | প্রকাশ: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ | ১৩:৩১ | সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার লাউড় রাজ্যের রাজধানীর দুর্গকে সংরক্ষিতপুরাকীর্তি হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। একই সঙ্গে এই প্রত্নতত্ত্বস্থলটি হয়েছেসরকারি তালিকাভুক্তও। গত ২৫ সেপ্টেম্বর এই প্রাচীন ঐতিহাসিক স্থাপনাকেসরকারের সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় সংরক্ষিত ঘোষণা করে।গত বছরের ১৪ নভেম্বর থেকে তাহিরপুর উপজেলার লাউড় রাজ্যের রাজধানীর দুর্গখননের প্রাথমিক কাজ শুরু করে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর।এ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের আঞ্চলিক পরিচালক ড. আতাউর রহমানখনন কাজ শুরুর পর বলেছিলেন, 'তাহিরপুরের লাউড়ে অনেক প্রত্নতাত্ত্বিকনিদর্শন পাওয়া গেছে, যেটি কয়েক যুগকে যুক্ত করবে।'ইতিহাস পর্যালোচনায় পাওয়া যায়, প্রাচীনকাল থেকে শ্রীহট্ট (সিলেট) কয়েকটিখণ্ড রাজ্যে বিভক্ত ছিল। ত্রৈপুর রাজবংশের অধ্যুষিত স্থান ত্রিপুরা রাজ্যবলে সাধারণত কথিত হয়। এই রাজবংশের অধিকার একসময় বরবক্রের সমস্ত বাম তীরপর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। শ্রীহট্টের তিন ভাগ তিনজন পৃথক নৃপতি দ্বারা শাসিত হতো। গৌড়, লাউড় ওজয়ন্তিয়া এই তিন খণ্ডের নৃপতির অধীন ছিলেন আরও অনেক ক্ষুদ্র ভূমি মালিক।লাউড় রাজ্য ছিল সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ ও ময়মনসিংহ জেলার কিয়দংশ পর্যন্তবিস্তৃত। লাউড় ছিল একটি স্বাধীন রাজ্য। তাহিরপুরের সীমান্ত এলাকায় লাউড়েররাজধানী ছিল। এই রাজ্যের ধ্বংসাবশেষ হলহলিয়া গ্রামে এখনও বিদ্যমান। এইরাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন কেশব মিশ্র। তারা ছিলেন কাত্যান গোত্রীয় মিশ্র।তাদের উপাধি ছিল সিংহ। খ্রিষ্টীয় দশম অথবা একাদশ শতকে তিনি কনৌজ থেকে এখানেআসেন। দ্বাদশ শতকে এখানে বিজয় মাণিক্য নামের নৃপতি রাজত্ব করতেন। কারওকারও মতে, বঙ্গ বিজয়ের পর রাঢ় অঞ্চল মুসলমানদের হাতে চলে যাওয়ায় সেখানকারবিতাড়িত ও পরাজিত সল্ফ্ভ্রান্তজনরা প্রাণ ও মান বাঁচানোর জন্য চারদিকেছড়িয়ে পড়িয়েছিলেন। তাদেরই একজন এখানে এসে রাজত্ব গড়ে তোলেন। রাঢ় শব্দ হতেইলাউড় শব্দটির উৎপত্তি হয়েছে বলে মনে করা হয়। লাউড় রাজ্যের রাজধানী লাউড়ছাড়াও জগন্নাথপুর ও বানিয়াচংয়ে আর দুটি উপরাজধানী ছিল।ঐতিহাসিক ডব্লিউ হান্টারের মতে, সম্ভবত ১৫৫৬ খ্রিষ্টাব্দে লাউড় রাজ্যস্বাধীনতা হারায় এবং মোগলরা এর নিয়ন্ত্রক হন। লেখক সৈয়দ মূর্তজা আলী তাঁররচিত 'হযরত শাহ্জালাল ও সিলেটের ইতিহাস' গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন, মোগলসম্রাট আকবরের শাসনামলে (১৫৫৬-১৬০৫ খ্রি.) লাউড়ের রাজা গোবিন্দ সিংহ তাঁরজ্ঞাতি ভ্রাতা জগন্নাথপুরের রাজা বিজয় সিংহের সঙ্গে আধিপত্য প্রতিষ্ঠা নিয়েবিরোধে লিপ্ত হয়েছিলেন। এর জের ধরেই বিজয় সিংহ গুপ্ত ঘাতকের হাতে নিহত হন।তার বংশধররা এ হত্যার জন্য গোবিন্দ সিংহকে দায়ী করে তার বিরুদ্ধে মোগলসম্রাট আকবরের রাজদরবারে বিচার প্রার্থনা করেন। এ ঘটনার বিচারের জন্যসম্রাট আকবর সৈন্য পাঠিয়ে গোবিন্দ সিংহকে দিল্লিতে ডেকে নেন। বিচারেগোবিন্দ সিংহের ফাঁসির হুকুম হয়। গোবিন্দ সিংহের অন্য নাম ছিল জয় সিংহ। একইসময়ে জয় সিংহ নামের অন্য এক ব্যক্তি রাজা গোবিন্দ সিংহের সঙ্গে সম্রাটআকবরের কারাগারে আটক ছিল। ভুলবশত প্রহরীরা গোবিন্দ সিংহের পরিবর্তে ওই জয়সিংহকে ফাঁসিতে ঝোলান। গোবিন্দ সিংহের প্রাণ এভাবে রক্ষা পাওয়ায় তিনি কৌশলেসম্রাট আকবরের কাছ থেকে নানা সুযোগ গ্রহণ করেন। প্রাণভিক্ষা চান তিনি এবংইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। গোবিন্দ সিংহের নাম হয় হাবিব খাঁ। সম্রাট আকবরগোবিন্দ সিংহকে তার হূতরাজ্য পুনরায় দান করেন। অবশ্য শর্ত দেওয়া হয় হাবিবখাঁ সম্রাট আকবরের বশ্যতা স্বীকার করবেন এবং সম্রাটের খাজনার পরিবর্তে ৬৮খানা কোষা নৌকা নির্মাণ করে সম্রাটকে সরবরাহ করবেন। এই নৌকাগুলো খাসিয়াদেরআগ্রাসন থেকে আত্মরক্ষার জন্য মোগল ও স্থানীয় বাহিনী কর্তৃক রণতরী হিসেবেব্যবহার করা হবে। প্রাচীন নানা গ্রন্থে উল্লেখ রয়েছে হাবিব খাঁর পৌত্রছিলেন মজলিস আলম খাঁ। মজলিস আলম খাঁর পুত্র ছিলেন আনোয়ার খাঁ। তিনিখাসিয়াদের উৎপাতের কারণে সপরিবারে সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের লাউড় ছেড়েহবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে চলে যান এবং সেখানে স্থায়ীভাবে বসবাস করতে শুরু করেন।এই বংশেরই উমেদ রাজা লাউড়ে একটি দুর্গ নির্মাণ করেছিলেন। এই দুর্গেরধ্বংসাবশেষই লাউড়ের হাউলী, হলহলিয়া বা হাবেলী নামে পরিচিত। বর্তমানে এইদুর্গের ভগ্নাবশেষ দেখা যায়। প্রতিটি প্রকোষ্ঠের কারুকার্য দেখলে যে কেউমনে করবেন, এখানে সল্ফ্ভ্রান্ত কোনো রাজা বা নৃপতি বাস করতেন। প্রাচীন এইস্থাপনা ক্রমেই ধ্বংসের পথে ছিল।সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ বলেন, 'হাওরাঞ্চলের প্রাচীননিদর্শন লাউড় রাজ্য ঐতিহাসিক স্থাপনার স্বীকৃতি এবং সরকারের প্রত্নসম্পদেরতালিকাভুক্ত করায় এখানকার জেলা প্রশাসক হিসেবে আমি খুশি। খনন ও গবেষণায়সাধ্যমতো সহযোগিতা করব। আমি মনে করি, এখানকার পুরাকীর্তি পর্যটন বিকাশেরসহায়ক হবে।'প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের আঞ্চলিক পরিচালক ড.আতাউর রহমান জানালেন, সুনামগঞ্জের লাউড় রাজ্যের এই ঐতিহাসিক স্থাপনারস্বীকৃতি এবং সরকারের প্রত্নসম্পদের তালিকাভুক্ত করার জন্য সবচেয়ে বেশিপ্রচেষ্টা ছিল সুনামগঞ্জের কৃতী সন্তান বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনেরচেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ সাদিকের। এখন এই প্রত্নসম্পদের কেউ কোনো ক্ষয়ক্ষতিকরতে পারবে না। ওখানে খনন ও গবেষণা চলবে। উন্মুক্ত জাদুঘর করার জন্য যা যাপ্রয়োজন, সবই করা হবে।প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. হান্নান মিয়া বলেন, 'এই ঐতিহাসিকদুর্গটি সরকারের প্রত্নসম্পদের তালিকাভুক্ত হওয়ায় সুনামগঞ্জ তথা সিলেটঅঞ্চলের প্রত্নপর্যটন বিকাশের ধারা উন্মোচিত হলো।'সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ডক্টর মো. আবু হেনা মোস্তফা কামাল এনডিসিবলেন, 'এমন ঐতিহাসিক প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনকে সরকারের সংস্কৃতিবিষয়কমন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের সংরক্ষিত পুরাকীর্তিরতালিকাভুক্তির কাজটি সম্পাদন করতে পেরে সন্তুষ্টিবোধ করছি। ওই স্থানকে ঘিরেআরও বেশি গবেষণাধর্মী কাজ করার সুযোগ তৈরি হলো এবং হাওরাঞ্চলেপ্রত্ন-পর্যটনেরও সম্ভাবনা তৈরি হলো।'বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান কবি ও গবেষক ড. মোহাম্মদ সাদিকবলেন, 'সিলেটের প্রাচীন ইতিহাসের অনেকাংশই এই অঞ্চলে বিদ্যমান রয়েছে,এখানে সঠিকভাবে গবেষণা করতে পারলে এই অঞ্চলের সঠিক ইতিহাস পুনরুদ্ধার করাসম্ভব হবে, যা সিলেটের ইতিহাসে এক নতুন মাত্রা যোগ হবে। এই প্রত্নস্থলটিসরকারিভাবে তালিকাভুক্ত হওয়ায় প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর, সংস্কৃতিবিষয়কমন্ত্রণালয়সহ সংশ্নিষ্ট সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা পোষণ করছি। এ প্রত্নস্থলটিসরকারিভাবে তালিকাভুক্ত হওয়ায় সঠিকভাবে নিরবচ্ছিন্ন গবেষণার মাধ্যমেএখানকার প্রাচীন পটভূমি জানা যাবে এবং এই অঞ্চলে প্রত্নপ্রেমী ওপ্রত্ন-পর্যটন বিকাশ হবে।' | লাউড়ের দুর্গ এখন সংরক্ষিত পুরাকীর্তি |
'এমপি লীগে' কোণঠাসা আওয়ামী লীগ | প্রকাশ: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ | ১৩:৩২ | পটিয়া পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবদুল খালেক। ২০১২ সালেচট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা জাতীয় পার্টির অর্থ সম্পাদক ছিলেন তিনি। সে সময় থেকে২০১৬ পর্যন্ত দলটির পটিয়া পৌরসভা কমিটির সভাপতির দায়িত্বও পালন করেন।কিন্তু এখন পুরোদস্তুর আওয়ামী লীগ নেতাই নয়, দলটির মনোনীত প্রার্থী হিসেবেনির্বাচন করে কাউন্সিলর হয়েছেন। সম্প্রতি ঘোষিত পটিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগেরপূর্ণাঙ্গ কমিটির কার্যনির্বাহী সদস্য মনোনীত হয়েছেন আবদুল খালেক।পটিয়া উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন মাহমুদুল হক। পটিয়ার সাবেকসাংসদ ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান জুয়েলেরঅনুসারী হিসেবে পরিচিত মাহমুদুলও এখন উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহীকমিটির অন্যতম সদস্য। জাতীয় পার্টি এবং বিএনপির অঙ্গ সংগঠন যুবদলেররাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন পটিয়া থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য ও সংসদেরবর্তমান হুইপ সামশুল হক চৌধুরী। অভিযোগ রয়েছে, তার হাত ধরেই আওয়ামী লীগেআসেন কাউন্সিলর আবদুল খালেক ও মাহমুদুল। শুধু তারাই নন, এক সময় জাতীয়পার্টি ও বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন, বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালনকরেছেন- এমন অনেক নেতাই সুযোগ বুঝে সাংসদ সামশুল হকের মাধ্যমে আওয়ামী লীগে'অনুপ্রবেশ' করেছেন। এই তালিকা বেশ দীর্ঘ। দলে বিভিন্ন পদ দিয়েরাজনৈতিকভাবে প্রতিষ্ঠিতও করেছেন তাদের। দলের অনেকের অভিযোগ- এভাবে এলাকায়আওয়ামী লীগের পরিবর্তে 'এমপি লীগ' প্রতিষ্ঠিত করেছেন তিনি।জানতে চাইলে কাউন্সিলর আবদুল খালেক বলেন, 'উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটিতেরাখা হলেও এখন আমি রাজনীতিতে সক্রিয় নেই। জনপ্রতিনিধি হিসেবে মানুষের সেবাকরে যাচ্ছি। এখন যা কিছু করছি সব পরকালের উদ্দেশ্যে।'পটিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন সমকালকেবলেন, 'পটিয়ায় প্রকৃত আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের জায়গা নেই। সামশুল হক তিনদফায় পটিয়া থেকে এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। প্রথমবার নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়েকাজ করলেও পরবর্তী সময়ে আগের জাতীয় পার্টি ও বিএনপি থেকে সুবিধাবাদীলোকজনকে এনে আওয়ামী লীগে ভিড়িয়েছেন। পটিয়ায় রীতিমতো এমপি লীগ প্রতিষ্ঠিতকরেছেন তিনি। এই অনুপ্রবেশকারী এমপি লীগের দাপটে দলের প্রকৃত নেতাকর্মীরাঅসহায়, কোণঠাসা।'চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান বলেন,'ক্লাব আর রাজনীতি- দুটি জায়গাতেই বিশৃঙ্খলা করছেন হুইপ সামশুল হক চৌধুরী।দলের গঠনতন্ত্র মানছেন না। এলাকায় ইচ্ছেমতো দলের বিভিন্ন কমিটি করছেন। এসবকমিটিতে রেখে দলে অনুপ্রবেশকারীদের পুনর্বাসন করছেন। তাই তার সুপারিশ করাকমিটিগুলো আমরা অনুমোদন দিচ্ছি না।' দলের আরও অনেক নেতার দেওয়া তথ্যমতে, পটিয়া উপজেলার আওতাধীন একটি পৌরসভা ও১৭টি ইউনিয়নের নেতাকর্মীদের একটি অংশ জাতীয় পার্টি ও বিএনপির রাজনীতিরসঙ্গে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন। উদাহরণ দিতে গিয়ে তারা জানিয়েছেন, পটিয়াপৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডে বিএনপির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করা আবুসৈয়দ একই ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। এই ওয়ার্ড থেকেআওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে কাউন্সিলর নির্বাচিতও হয়েছেন তিনি। একইভাবেপৌরসভা বিএনপির সহসভাপতির দায়িত্ব পালন করা ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরখোরশেদ গনি এখন পৌর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য। ৬ নম্বরওয়ার্ডের কাউন্সিলর শফিউল আলম ১৯৯৬-০৭ সাল পর্যন্ত জাপার ছাত্র সংগঠনদক্ষিণ জেলা ছাত্র সমাজের সহসভাপতি ছিলেন। সম্প্রতি পৌর বিএনপির পূর্ণাঙ্গযে কমিটি গঠন করা হয়েছে তাতে সদস্য হিসেবে নাম রয়েছে তার। ৮নং ওয়ার্ডেরকাউন্সিলর আবদুল মান্নান ২০১৬ সালে পটিয়া পৌর জাপার যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন।এখন পৌর আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটির সদস্য তিনি। পৌরসভার ২ নম্বরওয়ার্ডের কাউন্সিলর রূপক কুমার সেনও এখন আওয়ামী লীগ করলেও এক সময় জাপাররাজনীতিতে যুক্ত ছিলেন। বরলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকেরদায়িত্ব পালন করছেন ইউনুস তালুকদার। এর আগে তিনি যুবদলের পৌর কমিটির সাধারণসম্পাদক ছিলেন। এভাবে আরও অনেক নাম এসেছে যারা এখন আওয়ামী লীগের রাজনীতিরসঙ্গে জড়িত থাকলেও বিভিন্ন সময় তারা বিএনপি ও জাপার রাজনীতি করতেন।পটিয়া উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম জানিয়েছেন, খোরশেদ গনি ওআবু সৈয়দ বিএনপির যেসব কমিটিতে ছিলেন সেই কমিটি এখনও বহাল রয়েছে। তাদের দলথেকে বহিস্কার করা হয়নি। তারা দলের রাজনীতি থেকে লিখিতভাবে ইস্তফা নেননি।তারপরও কীভাবে তারা আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে জড়িত হলেন এবং বিভিন্ন পদেদায়িত্ব পালন করছেন তা বোধগম্য নয়।এসব বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে সামশুল হক চৌধুরী সমকালকে বলেন, 'আমাকেঅনেকেই বিএনপি ও জাপা নেতা বানিয়েছেন। যেকোনো সময় হয়তো তারা আমাকে জামায়াতনেতাও বানাবেন। একটি পক্ষ আমাকে অপদস্থ করতে বিভিন্ন ধরনের মনগড়া, মিথ্যা ওভিত্তিহীন কথাবার্তা বলছে। আমি কারও বিরুদ্ধে বলব না। আমি শুধু আল্লাহরকাছে বিচার দিচ্ছি। আর প্রধানমন্ত্রীর কাছেও বিচার চাইব।' দেশে চলমান মাদক ও জুয়াবিরোধী সাঁড়াশি অভিযানে গত ২১ সেপ্টেম্বর রাতেচট্টগ্রাম নগরীর হালিশহরে আবাহনী ক্লাবে অভিযান চালায় র্যাব। এ ক্লাবটিছাড়াও আরও অন্তত এক ডজন ক্লাবে অভিযান চালিয়েছে র্যাব ও পুলিশ। প্রায় সবক্লাবেই জুয়ার আলামত পাওয়া যায়। আবাহনী ক্লাবের মহাসচিব হচ্ছেন হুইপ সামশুলহক চৌধুরী। ক্লাবে চালানো এই অভিযান নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করলে তীব্রসমালোচনা মুখে পড়েন তিনি। | আওয়ামী লীগ |
পুলিশের অপরাধ গোপনের চেষ্টা হলে কঠোর ব্যবস্থা | প্রকাশ: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ | ১৩:৩৩ | কোনো পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে নীতিবহির্ভূত কাজে সম্পৃক্ততার অভিযোগ পাওয়াগেলে দ্রুত তার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। পাশাপাশি বিষয়টিজানাতে হবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে। এ ধরনের ঘটনা গোপন করার চেষ্টা হলেসংশ্নিষ্ট ইউনিট প্রধানের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সম্প্রতি পুলিশসদর দপ্তর থেকে সারাদেশে পাঠানো এক চিঠিতে এমনই কঠোর নির্দেশনা দেওয়াহয়েছে। এতে অবৈধ আর্থিক লেনদেন বা ঘুষ-দুর্নীতি ঠেকাতে 'শূন্য সহনশীলতা'নীতি মেনে সংশ্নিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে।পুলিশ সদর দপ্তরের গণমাধ্যম ও জনসংযোগ শাখার সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি)সোহেল রানার কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে তিনি চিঠি পাঠানোর বিষয়টিনিশ্চিত করেন। তবে তিনি এ সম্পর্কে আর কিছু বলতে রাজি হননি। সংশ্নিষ্টরা জানান, সাম্প্রতিক বিভিন্ন ঘটনায় কোনো কোনো পুলিশ সদস্যেরবিরুদ্ধে নৈতিক স্খলন বা অপরাধমূলক কাজে সম্পৃক্ততার অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে।আলোচিত ক্যাসিনোকাণ্ডেও পুলিশের দিকে অভিযোগের আঙুল উঠেছে। এসব ঘটনায়দু-একজন পুলিশ সদস্যের জন্য পুরো বাহিনীর ভাবমূর্তি প্রশ্নবিদ্ধ হয়। একারণে সারাদেশের পুলিশ ইউনিটগুলোকে কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ফেসবুকেরমতো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারেও এসেছে বিধিনিষেধ। প্রত্যেক পুলিশসদস্য যেন যথাযথভাবে পোশাক পরেন এবং কর্মক্ষেত্রে কোনো দুর্ব্যবহার বাঅসদাচরণ না করেন সে ব্যাপারেও সতর্ক করা হয়েছে। অন্যথায় সংশ্নিষ্ট পুলিশকর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানানো হয়েছে। পুলিশ সদর দপ্তরথেকে পাঠানো ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, অপরাধ চিহ্নিত ও দমন করাসহ জনসাধারণেরজানমালের নিরাপত্তায় পুলিশের প্রত্যেক সদস্যকে নৈতিকতা, সততা ও নিষ্ঠারসঙ্গে কাজ করতে হয়। প্রত্যেক সদস্যই আইনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত। পুলিশ আইন,পিআরবি এবং সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা সম্পর্কে সব সদস্যকেপ্রতি মাসে অবহিত করতে হবে। প্রয়োজনে রোলকলে, কল্যাণ সভায় বা অন্যান্যসভাতেও এসব আইনের গুরুত্বপূর্ণ ধারাগুলো উদ্ৃব্দত করে নৈতিক স্খলনের বিষয়েসচেতন করতে হবে। সম্প্রতি হুইপ সামশুল হক চৌধুরীর বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম আবাহনী ক্লাবের জুয়ারআসর থেকে ১৮০ কোটি টাকা 'আয়' করার অভিযোগ তুলে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন পুলিশপরিদর্শক মাহমুদ সাইফুল আমিন। এ ঘটনায় ব্যাপক সমালোচনা শুরু হলে তাকেসাময়িক বরখাস্ত করা হয়। পুলিশ সদর দপ্তরের চিঠিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমব্যবহার নিয়েও একাধিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়, ফেসবুক বাঅন্য কোনো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রাষ্ট্র, সরকার বা কোনোবাহিনী/বিভাগ/সংস্থা সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকতে হবে। একইমাধ্যমে ধর্মীয় অনুভূতিকে কাজে লাগিয়ে কোনো পোস্ট দিয়ে সম্প্রীতি নষ্ট বাসামাজিক অসন্তোষ সৃষ্টি করা যাবে না। কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে আঘাত বাসামাজিক বিতর্ক তৈরি করে এমন বিষয় পোস্ট বা শেয়ার করা যাবে না। নারী-শিশুনির্যাতন বা অন্য কোনো স্পর্শকাতর ঘটনা শেয়ার বা পোস্ট করা থেকে বিরত থাকতেহবে। দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় প্রয়োজন ছাড়া মোবাইল ফোন ব্যবহার (ইন্টারনেটব্রাউজিং/চ্যাটিং/গান বা ওয়াজ শোনা) না করতেও নির্দেশনায় বলা হয়েছে।এদিকে মাঠপর্যায়ে পুলিশের বিরুদ্ধে সেবাপ্রত্যাশীকে হয়রানির প্রচুর অভিযোগপাওয়া যায়। সে ব্যাপারেও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে সদর দপ্তর থেকে। বলা হয়েছে,আসামি গ্রেফতার, পরিবহন ও জিজ্ঞাসাবাদের সময় ফৌজদারি কার্যবিধি এবং পুলিশপ্রবিধান অনুসরণ করতে হবে। পুলিশের মাধ্যমে যেন সাধারণ মানুষ হয়রানির শিকারনা হয় তা নিশ্চিত করতে হবে। সব সময় ভালো ব্যবহার করতে হবে সেবাপ্রত্যাশীরসঙ্গে। এছাড়া যেসব পুলিশ সদস্যের পরিবার তার কর্মস্থল থেকে দূরে থাকে, তাদের ছুটিদেওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্ব দিতে ও নজরদারি করতে বলা হয়েছে। পুলিশ লাইন্স,থানা ও ফাঁড়িতে পুলিশ সদস্যদের জন্য বিনোদনের ব্যবস্থা, বিশেষ করে ফুটবল,ভলিবল, ব্যাডমিন্টন, ক্যারম, দাবা, টেবিল টেনিস, ক্রিকেট ইত্যাদি খেলাধুলারআয়োজন করতেও তাগিদ দেওয়া হয়েছে।সম্প্রতি রাজধানীর পল্টন থানার ওসির বিরুদ্ধে এক তরুণীকে বিয়ের কথা বলে দেড়বছর ধরে অনৈতিক সম্পর্ক চালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া যায়। এর আগে রাজধানীরআরেক থানার ওসির বিরুদ্ধেও ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল। পুলিশ সদর দপ্তরেরচিঠিতে বলা হয়েছে, বাহিনীর কোনো সদস্যের নৈতিক স্খলন ঘটলে বিষয়টি সর্বাধিকগুরুত্ব ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে আমলে নিয়ে অনুসন্ধান করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থানিতে হবে। | পুলিশের অপরাধ |
এত পেঁয়াজ যায় কই | প্রকাশ: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ | ১৩:৩৪ | পেঁয়াজের দাম রাতারাতি অস্বাভাবিক বাড়াতে কারসাজির অভিযোগ উঠেছেব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে। গত রোববার বিকেলে ভারতের পেঁয়াজ রফতানি বন্ধের খবরটেলিফোনে সবাইকে জানিয়ে দেন ব্যবসায়ীরা। এরপর চট্টগ্রামের পাইকারি মোকামখাতুনগঞ্জে বিকেল থেকে পেঁয়াজ বিক্রি বন্ধ হয়ে যায়। গতকাল সোমবার সকাল থেকেগুদামজাত করা সেই পেঁয়াজ পাইকারি কেজিপ্রতি ২৫ থেকে ৩০ টাকা বাড়তি দামেবিক্রি করা হয়। খাতুনগঞ্জে ভারতীয় পেঁয়াজের চেয়ে বেশি ছিল মিয়ানমারেরপেঁয়াজ। প্রতিকেজি ৪৩ টাকা দরে কেনা এসব পেঁয়াজ রোববার সকালে বিক্রি হয়েছিল৫০ থেকে ৫৫ টাকায়। গতকাল পাইকারি মোকামেই এগুলো বিক্রি হয়েছে ৮০ টাকা।ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৯০ টাকায়। খুচরা বাজারে এ পেঁয়াজের দাম হয়েছে১০৫ থেকে ১১০ টাকা। অনুসন্ধানে জানা যায়, গত এক মাসে টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়েতিন হাজার ৫৭৩ টন পেঁয়াজ এসেছে। আবার চট্টগ্রাম বন্দরে ৪১১ টন পেঁয়াজ আছেতিনটি জাহাজে। রোববার পর্যন্ত ভারত থেকেও এসেছে পর্যাপ্ত পেঁয়াজ। তারপরওদাম বাড়তে থাকায় প্রশ্ন উঠেছে এত পেঁয়াজ যায় কোথায়। টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়েপেঁয়াজ আমদানি হতো সীমিত পর্যায়ে। তবে ভারত পেঁয়াজের দাম ৩০০ ডলার থেকেবাড়িয়ে টনপ্রতি ৮৫০ ডলার করার ঘোষণা দেওয়ায় গত ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে টেকনাফদিয়ে আমদানি বাড়ান ব্যবসায়ীরা। গত আগস্টে টেকনাফ দিয়ে ৮৪ দশমিক ১৩২ টনপেঁয়াজ আমদানি হলেও সেপ্টেম্বরে এসেছে তিন হাজার ৫৭৩ দশমিক ১৪১ টন। ১৫ কোটি৫৫ লাখ ২৪ হাজার ৩৫৭ টাকায় এসব পেঁয়াজ আমদানি করেন ১০ থেকে ১৫ জনব্যবসায়ী। প্রতিকেজি পেঁয়াজ আনতে তাদের গড়ে খরচ হয়েছে মাত্র ৪৩ টাকা।পরিবহন ও শ্রমিক খরচ পাঁচ টাকা করে ধরলেও পাইকারি মোকামে নিতে এসব পেঁয়াজেরদাম পড়ে ৪৮ টাকা। কেজিপ্রতি পাঁচ টাকা লাভ ধরলেও এসব পেঁয়াজ পাইকারিমোকামে বিক্রি হওয়ার কথা সর্বোচ্চ ৫৩ টাকায়। তবে গতকাল চট্টগ্রামেরখাতুনগঞ্জে মিয়ানমারের পেঁয়াজই প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ৮০ টাকা। অনুসন্ধানে জানা যায়, ১৩ টন পেঁয়াজ বোঝাই একটি ট্রাক টেকনাফ স্থলবন্দর থেকেখাতুনগঞ্জে আসতে ভাড়া নিচ্ছে সর্বোচ্চ ১৭ হাজার টাকা। এ হিসাবে প্রতি কেজিপেঁয়াজ পরিবহনে খরচ হয় ১ টাকা ৩০ পয়সা। ট্রলার থেকে পণ্য ট্রাকে উঠানো এবংট্রাক থেকে নামানো বাবদ কেজিতে আরও ১ টাকা লেবার চার্জ যুক্ত করলে খরচদাঁড়ায় মোট দুই টাকা ৩০ পয়সা। পেঁয়াজ পচনশীল পণ্য হওয়ায় প্রতি কেজিতে ১টাকা ডেমারেজ চার্জ যুক্ত করলেও এ খরচ হয় সর্বোচ্চ তিন টাকা ৩০ পয়সা। এসবখরচ হিসাবে এনে প্রতি কেজিতে আমদানিকারক ৫ টাকা লাভ করলেও পাইকারি মোকামেপেঁয়াজ বিক্রি হওয়ার কথা সর্বোচ্চ ৫৩ টাকা। কারণ খাতুনগঞ্জে যারা পেঁয়াজেরব্যবসা করছেন তারা কেজিতে ৫০ পয়সা কমিশন নেন। কিন্তু আমদানিকারক পাইকারিতে৭০ থেকে ৭৫ টাকায় পেঁয়াজ বিক্রি করায় তা খুচরা বাজারে গিয়ে বিক্রি হচ্ছে১০৫ থেকে ১১০ টাকা। হাতবদলে এভাবে দাম দ্বিগুণ হয়ে যাওয়ার পেছনে মিয়ানমারথেকে পেঁয়াজ আনা ব্যবসায়ীদের দায়ী করছেন খাতুনগঞ্জের কমিশন এজেন্টরা।খাতুনগঞ্জের হামিদ উল্লাহ মিয়া মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদকমোহাম্মদ ইদ্রিস মিয়া সমকালকে বলেন, পাইকারি এ মোকামে ৫০ পয়সা কমিশনেপেঁয়াজ বিক্রি করি আমরা। আমদানিকারক যদি বেশি দামে পণ্য বিক্রি করে আমাদেরকী করার আছে। কেন কম দামে কেনা পেঁয়াজ বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে, সেটি মনিটরকরার কথা সরকারের। গোয়েন্দা সংস্থা খতিয়ে দেখুক, কারা কারসাজি করছে।টেলিফোন করে পেঁয়াজ বিক্রি একদিন বন্ধ রেখে গতকাল বাড়তি দামে বিক্রি করারঅভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা কাউকে পণ্য বিক্রি বন্ধ করতে ফোন করিনি।অনেকের কাছে পর্যাপ্ত পেঁয়াজ নেই। কারণ বাংলাদেশে পেঁয়াজের বড় বাজারনিয়ন্ত্রণ করে ভারত। এ কারণে আতঙ্ক থেকে হয়তো কেউ কেউ বিক্রি বন্ধ রেখেছিল।তিনি জানান, গতকাল এমন কোনো পরিবেশ ছিল না খাতুনগঞ্জে। দাম বাড়তি হলেওবেচাকেনা ছিল। তবে স্বাভাবিকের তুলনায় কম ছিল ক্রেতা। খাতুনগঞ্জ ট্রেড অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ছৈয়দছগীর আহমদ জানান, ভারতের মহারাষ্ট্রে পেঁয়াজের ফলন ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্তহলে তাদের অভ্যন্তরীণ বাজারে দর বেশ বাড়ে। ফলে ভারত সরকার পেঁয়াজের নূ্যনতমরফতানি মূল্য টনপ্রতি ৮৫০ ডলার নির্ধারণ করে। আগে যেখানে ২৫০ থেকে ৩০০ডলারে আমদানি করা যেত, তা ৮৫০ ডলার হওয়ায় ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে দেশে পেঁয়াজেরদাম বাড়তে থাকে। রোববার বিকেলে পেঁয়াজ রফতানি একেবারে নিষিদ্ধ করে দেয়ভারত। এটির সুযোগ নিতে পারে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী। অনুসন্ধানে জানা যায়, গত ১৫ দিনে টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়ে এককভাবে সবচেয়েবেশি পেঁয়াজ এনেছেন এমএইচ ট্রেডিংয়ের মালিক মোহাম্মদ হাশেম। টেকনাফের এব্যবসায়ী একাই প্রায় ৮০০ টন পেঁয়াজ এনেছেন বলে সমকালকে জানান তিনি। সর্বোচ্চ পেঁয়াজ আমদানির কথা জানালেও অতিরিক্ত মুনাফা করার অভিযোগ অস্বীকারকরে মোহাম্মদ হাশেম বলেন, দেশে আনা পেঁয়াজ নূ্যনতম লাভে বিক্রি করেছিআমরা। পেঁয়াজ পচনশীল পণ্য হওয়ায় এখানে আমাদের লোকসানও অনেক বেশি। তারপরওকেন পেঁয়াজের দাম এতটা বেড়েছে, তা খতিয়ে দেখুক সরকার। পাইকারি ও খুচরাব্যবসায়ীরাই পেঁয়াজের দাম নিয়ে কারসাজি করছে বলে তার অভিযোগ। টেকনাফ দিয়েপেঁয়াজ আমদানি করা অন্য বড় ব্যবসায়ীরা হচ্ছেন মো. জব্বার, মো. সেলিম, মো.সাদ্দাম ও মো. শওকত আলী। গত ১৫ দিনে আমদানি করা পেঁয়াজের বেশিরভাগই তাদের। চট্টগ্রামে বন্দরে তিন জাহাজে আছে ৪১১ টন পেঁয়াজ :বন্দরের টারমিনালম্যানেজার কুদরত-ই-খুদা মিল্লাত জানান, চীন, মিসর ও তুরস্ক থেকে ৪১১ টনপেঁয়াজ নিয়ে বন্দরে এসেছে তিনটি জাহাজ। এসব জাহাজে মোট ১৪টি কনটেইনারেপেঁয়াজ রয়েছে। বরিশাল থেকে সুমন চৌধুরী জানান, বরিশালে খুচরা বাজারে পেঁয়াজের কেজি ১০০টাকার ওপরে বিক্রি হচ্ছে। গত রোববার রাতে ভারত থেকে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধেরখবর প্রচার হওয়ার পর ১২ ঘণ্টার ব্যবধানে প্রতি কেজিতে কমপক্ষে ৩০ টাকা দামবেড়েছে। এ পরিস্থিতির মধ্যেই গতকাল নগরীতে পেঁয়াজ ছাড়াই খোলা বাজারে পণ্যবিক্রি কার্যক্রম উদ্বোধন করেছে বাংলাদেশ ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ(টিসিবি)। এদিকে গতকাল নগরীতে টিসিবির চিনি, মসুর ডাল ও সয়াবিন তেল বিক্রিকার্যক্রম উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমান। টিসিবি সারাদেশে ৪৫টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রির ঘোষণা দিলেও বরিশালে পণ্য তালিকায় এর নামনেই। টিসিবির বরিশাল বিভাগীয় প্রধান আনিছুর রহমান জানান, কেন্দ্রীয় দপ্তর থেকেই তাদের পেঁয়াজ সরবরাহ করা হয়নি। সিলেট ব্যুরো জানায়, সিলেটের বাজারে একরাতেই দ্বিগুণ দাম বেড়েছে পেঁয়াজের।রোববার বাজারে যে পেঁয়াজ ৬০-৬৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয় সে পেঁয়াজ গতকাল১১০-১২০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। গতকাল নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে বিষয়টিনিশ্চিত হওয়া গেছে। আখালিয়া বিজিবি হেড কোয়ার্টার গেটের বাসিন্দা ট্রাভেলসব্যবসায়ী মকবুল হোসেন তালুকদার বলেন, হঠাৎ দাম বাড়ায় পেঁয়াজ কিনিনি।হিলি (দিনাজপুর) সংবাদদাতা জানান, হিলি স্থলবন্দরের পাইকারি বাজারে মাত্রকয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কেজিতে বিক্রি হচ্ছে ৮০-৯০ টাকা। যা গতশনিবার ও রোববার দুপুর পর্যন্ত ছিল ৪৭-৫০ টাকার মধ্যে। গতকাল দুপুর ২টায় এসংবাদ লেখা পর্যন্ত এ বন্দর দিয়ে ভারত থেকে শুধু পাথর আমদানি হয়েছে।পেঁয়াজের কোনো চালান দেশে আসেনি।বন্দরের আমদানিকারক মোবারক হোসেন জানান, বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষায়৪০-৫০টি পেঁয়াজ বোঝাই ট্রাক সীমান্তের ওপারে আটকে আছে। অনেকের নতুন এলসিকরা আছে, সেগুলো আগামী ২ অক্টোবরের মধ্যে ঢোকার কথা। | এত পেঁয়াজ যায় কই |
রোহিঙ্গাকে পাসপোর্ট দিতে পুলিশ সুপারের সুপারিশ! | প্রকাশ: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ | ১৩:৩৭ | কক্সবাজারে রোহিঙ্গাদের পাসপোর্ট দিতে সুপারিশ করেছেন খোদ পুলিশ সুপার।একাধিক রোহিঙ্গার পাসপোর্ট ফরমে পাওয়া গেছে পুলিশ সুপারের সুপারিশ সংবলিতস্বাক্ষর। রোহিঙ্গাদের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ও পাসপোর্ট দেওয়ার ঘটনাউদ্ঘাটন করতে গিয়ে মিলছে পিলে চমকানো আরও তথ্য। পুলিশ ভেরিফিকেশন ওনির্বাচন কমিশনকে ম্যানেজ করে 'স্মার্টকার্ড' পর্যন্ত বাগিয়ে নিয়েছে তারা।এতদিন বন্দুকযুদ্ধে নিহত হওয়া রোহিঙ্গা ডাকাত নুর মোহাম্মদের স্মার্টকার্ডআলোচনায় থাকলেও সমকালের অনুসন্ধান বলছে, এমন স্মার্টকার্ড রোহিঙ্গারাপেয়েছে আরও। রোহিঙ্গাদের এমন কয়েকটি স্মার্টকার্ড এসেছে সমকালের হাতে। আছেরোহিঙ্গাকে পাসপোর্ট দিতে পুলিশ সুপারের সুপারিশ সংবলিত একাধিক নথিও। আবাররোহিঙ্গা পরিবারকে এনআইডি দিতে কিছু জনপ্রতিনিধিরও সুপারিশ সংবলিত নথি আছেসমকালের কাছে। এসব নথি পর্যালোচনা করে বোঝা যাচ্ছে, রোহিঙ্গাদের পাসপোর্ট ওএনআইডি দেওয়ার নেপথ্যে আছে অনেক রাঘববোয়াল। রোহিঙ্গাদের এনআইডি ও পাসপোর্ট কেলেঙ্কারিতে জড়িতদের শনাক্ত করতে কাজ করছেদুর্নীতি দমন কমিশন। দুদক চট্টগ্রামের বিভাগীয় পরিচালক মাহমুদ হাসান তারকার্যালয়ে বসে সমকালকে বলেন, 'রোহিঙ্গাদের পাসপোর্ট ও এনআইডি দেওয়ার পেছনেকাজ করেছে একটি সংঘবদ্ধ চক্র। কারা কোন প্রক্রিয়ায় এ চক্রে যুক্ত হয়েছে, তানিয়ে কাজ করছে দুদক।' এ চক্রে কারা আছে তা বিস্তারিত জানাতে অপারগতাপ্রকাশ করেন তিনি। এদিকে রোহিঙ্গাদের পাসপোর্ট দিতে সুপারিশসহপ্রতিস্বাক্ষর করা কক্সবাজারের তৎকালীন পুলিশ সুপার ড. একেএম ইকবাল হোসেনবলেন, '৯২ সালের দিকে যেসব রোহিঙ্গা এসেছে, তাদের অনেকে জায়গা কিনে স্থায়ীবাসিন্দা হিসেবে রয়েছে কক্সবাজারে। জনপ্রতিনিধিরাও এদের স্থায়ী বাসিন্দাহিসেবে জন্মনিবন্ধন সনদ ও জাতীয়তা সনদ দিয়েছেন। নির্বাচন কমিশন দিয়েছেএনআইডি। এ কারণে পুলিশ ভেরিফিকেশনে কোথাও কোথাও বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে।জ্ঞাতসারে আমি কোনো রোহিঙ্গাকে পাসপোর্ট দিতে সুপারিশ করিনি। তৃণমূলে যেকর্মকর্তারা সরেজমিন তদন্ত করেছেন তাদের রিপোর্টের ভিত্তিতে আমিপ্রতিস্বাক্ষর করেছি।' কক্সবাজার যেহেতু স্পর্শকাতর এলাকা সেহেতুযাচাই-বাছাই ছাড়া এভাবে সুপারিশ করা কতটা যৌক্তিক ছিল- এমন প্রশ্নের জবাবেতিনি বলেন, 'পুনরায় যাচাই-বাছাই করার পর্যাপ্ত জনবল আমার ছিল না।ভেরিফিকেশনের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তার মতামতের ওপর তাই আস্থা রাখতে হয়েছেআমাকে।' তবে কক্সবাজারের বর্তমান পুলিশ সুপার এ বি এম মাসুদ হোসেন বলেন,'রোহিঙ্গাদের এনআইডি ও পাসপোর্ট পাওয়া নিয়ে সারাদেশে তোলপাড় চলছে। তাই আমরাঅধিকতর সতর্কতা অবলম্বন করছি। কোনো রোহিঙ্গা যাতে পাসপোর্ট না পায়, সেজন্য ভালো করে যাচাই-বাছাই করছি নথিপত্র। জায়গা কেনার নথি দেখালেও পুনরায়সরেজমিন গিয়ে তদন্ত করছি আমরা। একদিনে অনেকগুলো পাসপোর্টের আবেদন জমা হয়বলে পুনঃতদন্ত করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে আমাদের।'পাসপোর্ট ও এনআইডি পেতে কোথায় কত ধাপ :পাসপোর্টে পুলিশ ভেরিফিকেশনের নিয়মপ্রসঙ্গে চট্টগ্রাম নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার আবদুল ওয়ারিশ জানান,পাসপোর্ট পেতে হলে নিয়ম অনুযায়ী একটি ফরম পূরণ করতে হয় আবেদনকারীকে। এইফরমে আবেদনকারীর স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানাসহ বিভিন্ন তথ্য উল্লেখ করতে হয়।দিতে হয় জরুরি প্রয়োজনে যোগাযোগ করতে স্থানীয় কোনো ব্যক্তির পরিচয় ওঠিকানা। পাসপোর্টের ফরমে আবেদনকারীর দেওয়া তথ্য সরেজমিন গিয়ে যাচাই-বাছাইকরে প্রতিবেদন দিতে হয় পুলিশের বিশেষ শাখাকে। সাধারণত এসআই কিংবা এএসআইপর্যায়ের কোনো কর্মকর্তা ঠিকানা যাচাই-বাছাই করে প্রথমে একটি প্রতিবেদনদেন। এই প্রতিবেদন পুনরায় যাচাই-বাছাই করেন পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শকপদমর্যাদার আরেকজন কর্মকর্তা। এ দু'জনের দেওয়া তথ্য পুনরায় যাচাই-বাছাই করেপ্রতিস্বাক্ষর করার কথা বিশেষ শাখার অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার বাসমমর্যাদার কোনো কর্মকর্তার। একইভাবে জাতীয় পরিচয়পত্র পেতেও পেরুতে হয় কিছুসুনির্দিষ্ট ধাপ। এনআইডি পেতে জমা দিতে হয় জন্মনিবন্ধন সনদ। আরজন্মনিবন্ধন পেতে পরিবারের অন্যদের এনআইডি, জায়গার খতিয়ান কিংবা বিদ্যুৎবিলের কপি জমা দিতে হয়। প্রয়োজনে দিতে হয় শিক্ষা সনদের কপি। এতসব ধাপ থাকারপরও পুলিশ ও নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে রোহিঙ্গারা পেয়েগেছে এনআইডি। কেউ কেউ আরেক ধাপ এগিয়ে পেয়ে গেছে স্মার্টকার্ড। রোহিঙ্গাকে পাসপোর্ট দিতে পুলিশ সুপারের স্বাক্ষর :হাসিনা আকতার নামের একরোহিঙ্গা পাসপোর্ট পেতে আবেদন করেন ২০১৭ সালের ৪ মার্চ। আবেদন ফরমে তিনিস্বামীর নাম উল্লেখ করেন নুরুজ জমান। মাতার নাম নাজমা খাতুন। বর্তমান ওস্থায়ী ঠিকানার ঘরে লেখেন- গ্রাম :তোতকখালী, রাস্তা :৩, ডাকঘর :পিএমখালী,কক্সবাজার সদর, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম। উল্লেখিত ঠিকানায় এই নামে কেউ নাথাকলেও কক্সবাজার বিশেষ শাখার পুলিশ পরিদর্শক মিজানুর রহমান, জেলা গোয়েন্দাকর্মকর্তা-১ কাজী মো. দিদারুল আলম ও পুলিশ সুপার ড. একেএম ইকবাল হোসেনতাকে পাসপোর্ট দেওয়ার সুপারিশ করেন। পুলিশ সুপারের প্রতিস্বাক্ষরের ওপরলেখা আছে- 'চরিত্র ও প্রাক-পরিচয় যাচাই করিয়া সব সঠিক পাওয়া গেল। সংশ্নিষ্টথানা ও অত্র জেলা বিশেষ শাখায় প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিরূপ কোনো তথ্য নাই।'অথচ দুদকের এনফোর্সমেন্ট টিম তদন্ত করে নিশ্চিত হয়েছে, হাসিনা আকতারেরউল্লেখিত সব তথ্যই ভুয়া। আবার রোহিঙ্গা হওয়ার পরও হাসিনা আকতার ও তারস্বামী নুরুজ জমান পেয়েছে এনআইডি কার্ড। হাসিনার এনআইডি কার্ডের নম্বর-১৯৯৩২২১২৪৪৭৪১৫৪৩২। আর তার স্বামীর এনআইডি নম্বর- ২২১২৪৪৭১১৪৬৪৪। একইভাবেভুয়া ঠিকানা দিয়ে এনআইডি নিয়েছে আরেক রোহিঙ্গা সাদিয়া বেগম(নম্বর-১৯৯২২২১২৪৪০০০০০২৪৮) ও তার স্বামী ওমর ফারুক (নম্বর-২২১২৪৪৭৪১৫৭১২)।সাদিয়া বেগমকে পাসপোর্ট দিতেও একইভাবে সুপারিশ করেছেন কক্সবাজারের তৎকালীনপুলিশ সুপার ড. একেএম ইকবাল হোসেন। ২০১৭ সালের ২০ মার্চ পাসপোর্টের জন্যআবেদন করেন রোহিঙ্গা নারী সাদিয়া। আবেদন ফরমে তিনি ঠিকানা উল্লেখ করেছিলেন-ফারুকের বাড়ি, দক্ষিণ হাজীপাড়া গ্রাম, ডাকঘর :ঝিলংজা, কক্সবাজার,চট্টগ্রাম। এ ঠিকানা ভুয়া হলেও 'সব ঠিক আছে' বলে পাসপোর্ট দিতে সুপারিশকরেন তৎকালীন পুলিশ সুপার। ২০১৭ সালে কক্সবাজারে পুলিশ সুপারের দায়িত্বেথাকা ড. একেএম ইকবাল হোসেন রোহিঙ্গাদের পাসপোর্ট দিতে এমন বেশ কয়েকটি ফরমেসুপারিশসহ প্রতিস্বাক্ষর করেছেন। ২০১৭ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৮ সালেরসেপ্টেম্বর পর্যন্ত কক্সবাজারে পুলিশ সুপার ছিলেন তিনি। ড. ইকবাল এখনট্যুরিস্ট পুলিশে আছেন পুলিশ সুপারের পদে। তার স্থলাভিষিক্ত হয়ে কক্সবাজারেএখন পুলিশ সুপারের দায়িত্ব পালন করছেন এ বি এম মাসুদ হোসেন।রোহিঙ্গাদের হাতে হাতে স্মার্টকার্ড :সম্প্রতি বন্দুকযুদ্ধে নিহত হওয়ারোহিঙ্গা ডাকাত নুর মোহাম্মদের স্মার্টকার্ড এতদিন আলোচনায় থাকলেও এখন দেখাযাচ্ছে এমন স্মার্টকার্ডের মালিক হয়েছেন অনেক রোহিঙ্গা। এদেরই একজন হাফেজআহম্মদ। নাবালক মিয়ার বাড়ি, আগ্রাবাদ, ডবলমুরিং, চট্টগ্রাম- এই ঠিকানাব্যবহার করে স্মার্টকার্ড পেয়েছেন তিনি। আবার পাসপোর্টের আবেদনে তিনিঠিকানা লিখেছেন গ্রাম :পূর্ব ধেছুয়া পালং, ওয়ার্ড নং :৪, রাবেতা, রামু,কক্সবাজার। চলতি বছরের ১৭ এপ্রিল তিনি এ আবেদন করেন। এতসব ঠিকানা ব্যবহারেরপরও রোহিঙ্গা হাফেজ আহম্মদের হাতে গেছে নির্বাচন কমিশনের স্মার্টকার্ড(নম্বর-১৪৫৯৮০৯১৫৬)। আশ্চর্যজনক হলেও সত্য, হাফেজের স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনওপেয়েছে স্মার্টকার্ড (নম্বর-৩২৫৮৮৩৭০১৬)।রোহিঙ্গা হওয়ার পরও স্মার্টকার্ডধারী আরেক সৌভাগ্যবতী হচ্ছেন রাশেদা বেগম।নির্বাচন কমিশনকে ম্যানেজ করে গর্জনতলী, ৪নং ওয়ার্ড, ৭নং খুটাখালী ইউনিয়ন,চকরিয়া, কক্সবাজার ঠিকানা দিয়ে স্মার্টকার্ড পেয়েছেন তিনি(নম্বর-২৩৭৮৭২৫৯৪৫)। ৭নং খুটাখালী ইউনিয়ন থেকে ২০১২ সালের ২৩ ডিসেম্বরজন্মসনদও নিয়েছেন। চলতি বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি পাসপোর্ট পেতেও আবেদন করেনতিনি।রেহেনা আকতার নামের আরেক রোহিঙ্গা নারী পেয়েছেন নির্বাচন কমিশনেরস্মার্টকার্ড (নম্বর-৩২৮৪২৩১৩৪১)। দরগাপাড়া, খুটাখালী, চকরিয়া, কক্সবাজারঠিকানা দিয়ে স্মার্ট কার্ড পেয়েছেন তিনি। ২০১২ সালের ১৩ মে একই ইউনিয়ন থেকেজন্মসনদও নিয়েছেন তিনি। রোহিঙ্গা হলেও তার মা লায়লা বেগম(নম্বর-৪৬১৬০২৯৪৩৭), ভাই নুরুল আলম (নম্বর-৮২২৮৪৯৭৯০৮) এবং মো. শওকত ওসমানও(নম্বর-৫৫২৪৮৭০৬৮৯) পেয়েছেন নির্বাচন কমিশনের স্মার্টকার্ড। | এনআইডি ও পাসপোর্ট জালিয়াতি |
যশোরে ফের আলোচনায় শাহীন চাকলাদার | প্রকাশ: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ | ১৩:৩৮ | দেশজুড়ে চলমান দুর্নীতিবিরোধী অভিযানের মধ্যে যশোরে ফের আলোচনায় শাহীনচাকলাদার। সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের এই সাধারণসম্পাদকের বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই। মাত্র ১৬ বছর আগে একটি পৈতৃক ওষুধেরদোকান ছাড়া যার কিছুই ছিল না, এখন তার কী নেই। যশোরের লোকজন মজা করে বলেন,যেদিকে যাবেন, সেদিকেই চাকলাদার। গোয়েন্দা সংস্থাগুলোও নতুন করে তারব্যাপারে খোঁজখবর নিতে শুরু করেছে। বিভিন্ন সময় প্রকাশিত খবরের ভিত্তিতেদুদকও খোঁজ নিচ্ছে। আর দলের ভেতর থেকেও দাবি উঠেছে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থাগ্রহণের। এর আগে জাতীয় সংসদেও তার ব্যাপারে কথা বলেছেন স্থানীয় এমপি। তবেবরাবরের মতো এবারও অভিযোগ অস্বীকার করে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন শাহীনচাকলাদার নিজে।প্রাপ্ত অভিযোগে জানা গেছে, পিতার রেখে যাওয়া এম এম আলী সড়কে জামানফার্মেসি নামে একটি ওষুধের দোকান চালাতেন শাহীন চাকলাদার। ২০০১ সালে বিএনপিক্ষমতায় এলে ঠিকাদারির মাধ্যমে কিছু অর্থবিত্ত গড়েন। কখনই আওয়ামী লীগ এবংএর অঙ্গ ও সহযোগী কোনো সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন না। ২০০৩ সালে জেলাআওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটিতে স্থান পায় শাহীনের নাম। দলীয় নেতাকর্মীদেরচমকে দিয়ে পরের বছর গঠিত কমিটিতে তিনি সাধারণ সম্পাদক হন।শাহীন চাকলাদারের বিরুদ্ধে অভিযোগ, সাধারণ সম্পাদক হওয়ার পর মূলত এককআধিপত্য প্রতিষ্ঠায় মরিয়া হয়ে ওঠেন তিনি। সে লক্ষ্যেই দলীয় নির্দেশনাউপেক্ষা করে পদে পদে জায়গা করে দিয়েছেন নিজের লোকদের। চিহ্নিত অপরাধীদেরনিয়ে গড়ে তুলেছেন আলাদা টিম, যাদের বণ্টন করে দিয়েছেন নানা দায়িত্ব। কেউজমি দখলের দায়িত্বে নিযুক্ত তো কেউ চোরাচালানে। কেউ চাঁদাবাজিতে, কেউটেন্ডার ছিনতাইয়ের কাজে; আবার কেউ আছেন জুয়ার আসর পরিচালনায়। শাহীনেরচাচাতো ভাই তৌহিদ চাকলাদার ফন্টু, সদর থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকশাহারুল ইসলাম, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বিপুল,সাবেক সভাপতি রওশন ইকবাল শাহী এসব দলের নেতৃত্বে।স্থানীয়দের দেওয়া তথ্যমতে, ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায়আসার পর গত ১১ বছরে শাহীন বিপুল বিত্তবৈভবের মালিক হয়েছেন। কাজীপাড়ায় পৈতৃকবাড়ির বাইরে বিভিন্ন স্থানে বানিয়েছেন অনেক দালানকোঠা। কাঁঠালতলায় তৈরিকরেছেন আলিশান আধুনিক তিনতলা বাড়ি এবং বড়বাজারে দোতলা বাড়ি। সম্প্রতি কিনেনিয়েছেন ঐতিহ্যবাহী পারভীনা হোটেল। শহরের বিমান অফিসসংলগ্ন স্থানে রয়েছেভবনসহ জমি, আরবপুর মোড়ে পাঁচতলা বাড়ি, শহরের মাইকপট্টিতে হাজি সুমনের সঙ্গেযৌথ জমি, রাজধানীর মহাখালী ডিওএইচএসে ফ্ল্যাট, পেট্রোল পাম্প, ধর্মতলায়জমি। অভিযোগ রয়েছে, স্থানীয় এক নারীর জমি জালিয়াতি করে নিজের নামে লিখেসেখানে বানিয়েছেন জাবীর ইন্টারন্যাশনাল নামে ১৬ তলাবিশিষ্ট অভিজাত হোটেল।অনুসন্ধানে জানা গেছে, অনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য যশোরে জাবীরইন্টারন্যাশনালকে লোকজন এক নামে চেনে। যশোরের সর্ববৃহৎ জুয়ার আসর পালবাড়িররয়েল কমিউনিটিতে, যেটি শাহীনের লোকজনের নিয়ন্ত্রণে। তার অনুসারীদের মাধ্যমেশহর এবং শহরের আশপাশের এলাকায় অন্তত শতাধিক জুয়ার আসর বসার খবর পাওয়াগেছে।গত বছর সংসদে এ বিষয়গুলো উপস্থাপন করেছিলেন যশোর-৩ আসনের সংসদ সদস্য কাজীনাবিল আহমেদ। এর পর কিছুদিন জুয়ার আসর বন্ধ থাকলেও পরে চালু হয় আরও জোরগতিতে, যা নিয়ন্ত্রণ করে ফন্টু চাকলাদার ও টাক মিলন।তবে জুয়ার আসরের খবর অস্বীকার করেছেন যশোরের পুলিশ সুপার মঈনুল হক। তিনিসমকালকে বলেন, যশোরে জুয়া বা ক্যাসিনোর কোনো তথ্য পুলিশের কাছে নেই।গোয়েন্দাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সম্প্রতি মনিরামপুর ও শার্শায় অভিযানচালানো হয়েছে। শহরের সবকিছু তাদের নজরদারিতে আছে বলে জানান তিনি।শাহীন চাকলাদার প্রসঙ্গে পুলিশ সুপার বলেন, তারা সাধারণত গোয়েন্দা নজরদারিরভিত্তিতেই অভিযান চালিয়ে থাকেন। শাহীনের বিরুদ্ধে জুয়ার আসর কিংবাচোরাচালানের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।এ মুহূর্তে যশোরের কোথাও জুয়ার আসর নেই বলে দাবি করেন কোতোয়ালি থানারভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনিরুজ্জামানও। তিনি বলেন, দেশজুড়েঅভিযান শুরুর পর সেখানে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে। অভিযোগ পেলে যেকোনো স্থানেই পুলিশ অভিযান চালাবে। শাহীন চাকলাদারের সিন্ডিকেট, জুয়ারআসর, হোটেলে অনৈতিক কর্মকাণ্ড প্রসঙ্গে জানতে চাইলে 'রাজনৈতিক বিষয়ে কোনোমন্তব্য করা সমীচীন নয়' বলে দাবি করেন তিনি।যশোর আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলনের কাছে তার কমিটির সাধারণসম্পাদকের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান। তবে তিনি চান, যশোরেযেন জুয়ার আসর না থাকে, কেউ যেন সন্ত্রাসী-চাঁদাবাজি সিন্ডিকেট গড়ে তুলতেনা পারে। তিনি বলেন, প্রশাসন অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনতেপারে।শাহীনের হাত ধরে দলে অনেক বিতর্কিত নেতা :১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদারবাহিনীর সঙ্গে হাত মিলিয়ে যশোরের একাধিক মুক্তিবাহিনীর বাড়ি পুড়িয়েদিয়েছিলেন আবদুল খালেক। তিনি বর্তমানে যশোর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি। আরেকসহসভাপতি এ কে এম খয়রাত কিছুদিন আগেও ছিলেন জামায়াতের রোকন। ১৯৯৬ সালেফ্রিডম পার্টির প্রার্থী রেজাউল ইসলাম বর্তমানে যশোর আওয়ামী লীগের বন ওপরিবেশবিষয়ক সম্পাদক। পাঁচ বছর আগের আওয়ামী লীগ নেতা মোশাররফ হত্যা মামলারআসামি এস এম আফজাল হোসেন এ কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক। বিএনপি পরিবারের দু'জনজিয়াউল হাসান হ্যাপি উপপ্রচার সম্পাদক এবং মইনুল আলম টুলু কোষাধ্যক্ষ।রোকেয়া পারভীন ডলির স্বামী স্থানীয় বিএনপি নেতা।এ ছাড়া জেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী কমিটির সদস্য হিসেবে জায়গা পান ছাত্রলীগনেতা রিপন হত্যা মামলার আসামি শাহারুল ইসলাম, বিএনপি নেতার ছেলে নাজমুলহাসান কাজল, বিএনপি পরিবারের সদস্য আবদুল মান্নান মিন্নু, মশিয়ার রহমানসাগর ও কবিরুল আলম। গত ২০ বছর লন্ডনে অবস্থানরত শওকত আলী ও মালয়েশিয়ায় আদমপাচারে পরিচিত শাহীন সরদারও এ কমিটির সদস্য।যশোর আওয়ামী লীগের এক শীর্ষ নেতা সমকালকে বলেন, যেভাবে দেশজুড়ে ক্যাসিনোচলছে, সেভাবেই এ ধরনের লোকজন দলে গুরুদায়িত্ব পেয়ে গেছেন। এখনই সময় তাদেরবিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার। যারা প্রশ্নবিদ্ধ লোকদের আওয়ামী লীগের নানা পদেআসীন করেছেন, তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে হবে।আওয়ামী লীগের আরেক নেতা বলেন, যারা দলের জন্য নিবেদিতপ্রাণ, দলের যে কোনোদুঃসময়ে যারা সাহসী ভূমিকা রেখেছেন, তারা উপেক্ষিত। যাদের বিরুদ্ধেমুক্তিযুদ্ধে বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের অভিযোগ রয়েছে, দীর্ঘদিনবিএনপি-জামায়াতের রাজনীতি করেছেন, তাদেরকেই বিভিন্ন পদে বসিয়েছেন শাহীনচাকলাদার। নিজের অনৈতিক কর্মকাণ্ড নির্বিঘ্নে পরিচালিত করতেই বিতর্কিতদেরদলীয় পদে বসিয়েছেন বলে মনে করেন তিনি।কমিটিতে বিতর্কিত নেতাদের ঠাঁই পাওয়া প্রসঙ্গে যশোর আওয়ামী লীগের সভাপতিবলেন, দলীয় সভানেত্রী চাইলে শাহীনের বিরুদ্ধে অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থানিতে পারেন। এ বিষয়ে তার কিছুই করার নেই।দখলবাজি :যশোরের বিভিন্ন এলাকায় অন্যের জায়গাজমি বেদখল করে নেওয়ার অভিযোগআছে শাহীনের বিরুদ্ধে। তার প্রভাব খাটিয়ে চাচাতো ভাই পৌর মেয়র জহিরুল ইসলামচাকলাদার রেন্টু, কাউন্সিলর হাজি সুমন, চুড়ামনকাটি ইউপি চেয়ারম্যানমুন্না, কাউন্সিলর মোস্তফা, ইউপি চেয়ারম্যান সাগর, ইউপি চেয়ারম্যানশাহারুল, কাউন্সিলর সন্তোষ দত্ত, টাক মিলন, বিহারি ক্যাম্প এলাকার রবিনিরীহ মানুষের সম্পত্তি দখল করেন বলে জানা গেছে।অনুসন্ধানে জানা যায়, যশোরের প্রাণকেন্দ্রে একটি জমি দখলদারদের হাত থেকেফিরে পেতে শাহীনের কাছে গিয়েছিলেন স্থানীয় স্কুলশিক্ষিকা আনোয়ারা বেগম।কিন্তু জমি ফেরত পাওয়ার বদলে উল্টো ফেঁসে যান তিনি। শাহীন ওই নারীর জমিহাতিয়ে নেন। পরে মাত্র ১০ লাখ টাকা ধরিয়ে দিয়ে কয়েক কোটি টাকা মূল্যেরজমিটি নিজের নামে লিখে নেন শাহীন। সম্প্রতি সেই জমিতে গড়ে তুলেছেন ১৬তলাবিশিষ্ট অভিজাত হোটেল। এর পাশে গাজী ইলেকট্রিকের দোতলা মার্কেটের বড়একটি অংশ জোর করে দখলে নিয়েছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।সম্প্রতি শাহীন চাকলাদারের দখলবাজি নিয়ে একটি চিঠি পেয়েছে দুর্নীতি দমনকমিশন (দুদক)। দুদকের এক কর্মকর্তা জানান, বিষয়টি তারা খতিয়ে দেখছেন।ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, যশোরের মাইকপট্টি এলাকায় সেলিমের মার্কেটের একটিঅংশ, ভোলা ট্যাংক রোডে আল্লাহর দানের একটি অংশ, কাঁঠালতলা এলাকায় ঈদগাহেরএকটি অংশ, বকচরে সরকারি জায়গা দখল করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তৈরি, মাহিদিয়াএলাকায় প্রায় ১০০ বিঘা বিলের জমি, জগহাটি এলাকার বিল, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে ২০০ বিঘার এড়োলের বিল, যশোর-নড়াইল সড়কে বীজ গোডাউনেরসামনে সওজের জায়গা দখল করে মার্কেট নির্মাণ, শহরের ঘোষপাড়ায় সাধন কুমারনামে এক ব্যক্তির প্রায় ১৫ কাঠা জমি দখলের অভিযোগ আছে। শাহীন নিজে এবং তারলোকজন এসব দখলবাজিতে জড়িত বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।এ ছাড়া সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের নিলাম হলে আশপাশেই ভিড়তে পারেন না অন্য কেউ।জেলা রেজিস্ট্রি অফিস, ভূমি অফিস, সেটেলমেন্ট অফিস, বিআরটিএ অফিস,পাসপোর্ট অফিস, বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিক এবং কোচিং সেন্টারও শাহীনকেনিয়মিত চাঁদা দিতে বাধ্য। শাহীনের পৃষ্ঠপোষকতায় তার ক্যাডাররা খুনোখুনিতেপর্যন্ত জড়িত হয়ে গেছে। তাদের বিরুদ্ধে অগণিত হত্যা মামলায় সম্পৃক্ততারঅভিযোগ আছে। অনৈতিক কর্মকাণ্ডে একদল ক্যাডার :জানা গেছে, পুরাতন কসবা এলাকায় বিভিন্নঅনৈতিক কর্মকাণ্ডের নেতৃত্ব দেয় জাহিদ হোসেন মিলন ওরফে টাক মিলন। তারনেতৃত্বে ফিরোজ আলম, আলমগীর হোসেন, নূর নবী, কাজল, সোহাগ, বাবুল, সিরুবাবু,হাতকাটা মনিরুল, উজ্জ্বল, জিয়াদ, রাজ্জাক, সান্টু, মকা, কালাম, সোহাগ-২,মারুফসহ অনেকে সেখানে সার্বক্ষণিক তৎপর।শহরতলি পাগলাদহ এলাকায় রবি, ভাস্কর্য মোড়ে নান্নু, আরবপুরে সাইদুজ্জামানওরফে দাঁতাল বাবু ও বিশে, ধর্মতলা ও খড়কি এলাকায় হাফেজ, ভুট্টো, ডিকু ওশাওন, আরএন রোড এলাকায় কানা রুবেল, বারান্দি এলাকায় ইয়াবা জাকির ও অস্ত্রআরিফ, রেলস্টেশন এলাকায় শাকিল, কুদরত, তরিকুল ও সাইদুল, শংকরপুর এলাকায়ডেঞ্জার সোহাগ, বনি, বাপ্পী, ইসহাক, ডাবলু, শামিম, শাহাদত ও ইয়াসিন, উপশহরএলাকায় মুনসুর, চিমা ও সেলিম, শেখহাটি এলাকায় মোমেল ও জুয়েল, লালদীঘিএলাকায় চিকি সুমন ও সাইফুল, রেল রোডে রতন, টিবি ক্লিনিক এলাকায় ট্যাবলেটতুষার, বেজপাড়ায় প্রশান্ত, খায়ের ও সোহাগ, ঘোপ এলাকায় ফারাজি, বারান্দিমোল্লাপাড়ায় বাঁধন ফারাজি, পলাশ ও লিটন, বরফকল এলাকায় মোস্ত, খালধার রোডএলাকায় চোর শাকিব, মুড়লিতে নাসির, পুলেরহাট এলাকায় মামুন, হাসান, আজিজুল,মামুন, ভুট্টো, বাবু, বক্কার, টিটো, টাক জনি, স্বপন ও টোকন, ঝুমঝুমপুরএলাকায় কসাই জাভেদ ও রবিউল, জামরুলতলা এলাকায় জুয়েলের নেতৃত্বে হয় সব ধরনেরসমাজবিরোধী কার্যক্রম।চোরাচালান সিন্ডিকেটে যারা :জানা গেছে, যশোর শহরে এখন চোরাচালান সিন্ডিকেটনিয়ন্ত্রণ করেন শাহীন চাকলাদারের অন্যতম সহযোগী ইউপি চেয়ারম্যান শাহারুলইসলাম, যশোর পৌরসভার কাউন্সিলর গোলাম মোস্তফা, ইউপি চেয়ারম্যান আবদুলমান্নান মুন্না প্রমুখ। এর মধ্যে সোনা চোরাচালানের দিকটা নিয়ন্ত্রণ করেনজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বিপুল, উপশহর ইউপিচেয়ারম্যান এহসানুল হক লিটু, মুনসুর, ডিশ বাবু ও বেনাপোলের আকুল।অস্ত্র চোরাচালান ও ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করেন ফন্টু চাকলাদার, টাক মিলন, হাজিসুমন (কাউন্সিলর), গোলাম মোস্তফা (কাউন্সিলর), আরিফ, শাকিল, রবি, দাঁতালবাবু, মুনসুর, চিমা, সান্টু ও টালিখোলার জাভেদ।যশোরে যে কোনো সরকারি দপ্তরের সব দরপত্র নিয়ন্ত্রণ হয় কাঁঠালতলা সিন্ডিকেটথেকে। টেন্ডার হলেই সেসব অফিসে নিয়মিত পাহারার ব্যবস্থা করা হয় সিন্ডিকেটেরসদস্যদের দ্বারা। এটি নিয়ন্ত্রণ করে ফন্টু চাকলাদার। তার সঙ্গে থাকে টাকমিলন, হাজি সুমন, আলমগীর, বিপুল, শাহী প্রমুখ।মাদক চোরাচালান ও বিক্রির দায়িত্বে নিযুক্ত আছে ইয়াবা জাকির। এ ছাড়া শাহী,জিসান, কাজল, জিয়া, রহমত, প্রান্ত, সোহাগ ও মনু এসব নিয়ন্ত্রণ করে।শহরের প্রবেশমুখ চাঁচড়া, চুড়ামনকাটি, উপশহর, মণিহার, মুড়লি, রাজারহাটসহশহরের ভেতরে প্রতিটি মোড়ে এরা বিভিন্ন যানবাহন থেকে নিয়মিত চাঁদা আদায় করেবলে জানা গেছে। এমনকি রিকশা, ভ্যান, ইজিবাইকও চাঁদাবাজি থেকে রেহাই পায় না।শাহীন চাকলাদারের বক্তব্য :সমকালের পক্ষ থেকে জানতে চাইলে অভিযোগগুলোঅস্বীকার করেন শাহীন চাকলাদার। জুয়ার আসর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ ধরনেরকর্মকাণ্ড তিনি ঘৃণা করেন। তার রাজনৈতিক উত্থান জানতে চাইলে উত্তেজিত হয়েবলেন, 'আমি একসময় জামায়াতের সেক্রেটারি ছিলাম। এখন আওয়ামী লীগের সেক্রেটারিহয়েছি। তাতে কোনো সমস্যা আছে?'বিতর্কিতদের দলে জায়গা দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, বিতর্কিত কাউকেই পদ দেওয়াহয়নি। খয়রাত মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। রেজাউল আওয়ামী লীগের মাঠকর্মী ছিলেন।শাহীন নিজেও যুবলীগের নানক-মির্জা আজম কমিটির সদস্য ছিলেন বলে দাবি করেন।জমি দখল, সিন্ডিকেট এবং চোরাচালান বিষয়ে জানতে চাইলে একটি জাতীয় দৈনিকেরউদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, 'যশোরে চাকলাদারই সব- এমন শিরোনাম দিয়ে নিউজকরেছিল। কিছুই হয়নি। মামলা করার প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। তারা মাফ চাওয়ায় আরকরিনি।' | আলোচনায় শাহীন চাকলাদার |
কামরুল-হ্যারির হাত ধরে ঢাকায় আসে ক্যাসিনো | প্রকাশ: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ | ১৩:৪০ | আপডেট: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ | ১৩:৪০ | রাজধানীর আরামবাগের একসময়ের বড় ব্যবসায়ী কামরুল ইসলাম জুয়া খেলতেনক্লাবগুলোতে। ক্যাসিনো খেলতে যেতেন নেপাল, থাইল্যান্ডসহ বিশ্বের বিভিন্নদেশে। এর সূত্র ধরেই নেপালি নাগরিক হ্যারির সঙ্গে পরিচয় তার। হ্যারি নিজেওজুয়ার বিশেষজ্ঞ। তবে তিনি নিজে খেলেন না, অন্যকে দিয়ে খেলান। নেপালে তিনিক্যাসিনো বিশেষজ্ঞ হিসেবে পরিচিত। কামরুলের সঙ্গে পরিচয়ের সূত্রে হ্যারিরহাত ধরে প্রথম ঢাকায় আসে ক্যাসিনো সরঞ্জাম। ২০১৬ সালের শেষের দিকেপ্রভাবশালী নেতাদের ছত্রছায়ায় মতিঝিলের ওয়ান্ডারার্স ক্লাবে বসানো হয়ক্যাসিনো। এরপরই যেন আলাদিনের চেরাগ হাতে পান যুবলীগের কয়েকজন নেতা। তারাঝুঁকে পড়েন কামরুল আর হ্যারির দেখানো পথে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও মতিঝিলেরক্লাবপাড়ার সংশ্নিষ্ট সূত্রে মিলেছে এসব তথ্য।সূত্র বলছে, নেপালি নাগরিক হ্যারি গত তিন বছরে বারবার বাংলাদেশে এসেছেন।কামরুলের সঙ্গে পরিচয়ের সূত্র ধরে তিনি এদেশে ক্যাসিনো সরঞ্জাম এনে তাক্লাবগুলোতে স্থাপন করেছেন। এগুলো চালাতে নিজেই নেপালিদের বাংলাদেশে নিয়েআসেন। গত ১৮ সেপ্টেম্বর মতিঝিল এলাকায় ক্যাসিনোতে অভিযান চালানোর সময়ে তিনিমতিঝিল এলাকায় ছিলেন। এরপরই আত্মগোপনে চলে যান। গত রোববার পর্যন্ত তিনিবাংলাদেশেই আত্মগোপনে রয়েছেন বলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে তথ্য রয়েছে।অন্যদিকে যে কামরুলের হাত ধরে ঢাকায় ক্যাসিনো সরঞ্জাম স্থাপন করা হয়েছে,ক্যাসিনো খেলে সেই কামরুলও এখন নিঃস্ব। সব সম্পদ হারিয়ে তিনি ক্লাবপাড়াতেইথাকতেন। তবে র্যাবের অভিযানের মুখে আত্মগোপনে চলে গেছেন। সর্বশেষ তিনি বিভিন্নজুয়াড়ির দেওয়া ৫০০ টাকা ১০০০ টাকার অনুদানে ক্যাসিনো খেলতেন। আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যরা এখন তাদের হন্যে হয়ে খুঁজছেন।সূত্রগুলো বলছে, কামরুলের কোনো রাজনৈতিক পরিচয় নেই, প্রভাবও নেই। ক্যাসিনোস্থাপনে শুধু তাকে ব্যবহার করা হয়েছে। এক্ষেত্রে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগথেকে বহিস্কৃত সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া ও পলাতক ওয়ার্ডকাউন্সিলর মমিনুল হক সাঈদ ব্যবহার করেছেন তাকে। এ ছাড়া কামরুলকে ব্যবহারকরে কোটিপতি হয়েছেন পুরান ঢাকার তিন ভাই রশীদুল হক ভূঁইয়া, এনামুল হক ওরফেএনু ভূঁইয়া এবং রুপন ভূঁইয়া।র্যাব-৩-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল শাফীউল্লাহ বুলবুল সমকালকে বলেন, 'আগেরঅভিযানগুলোর পর আমরা পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছি। অনেক তথ্য এবং অনেকেরনামই বেরিয়ে আসছে। তদন্ত পর্যায়ে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না।'ক্যাসিনোকাণ্ডের ঘটনাগুলোর তদন্তের সঙ্গে সংশ্নিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন,হ্যারির নেতৃত্বে নেপালি একটি গ্রুপ ঢাকায় ক্যাসিনো বসালেও ঢাকার কিছুপেশাদার জুয়াড়ি এতে সহায়তা করে। তাদের শেল্টার দেন যুবলীগের কয়েক নেতা।তারা সব দিক ম্যানেজ করে ক্লাবে ক্যাসিনো কারবার স্বাভাবিকভাবে চালাতেসহায়তা করেন। এতে নেতাদের কেউ দৈনিক, সাপ্তাহিক ও মাসিক ভিত্তিতে মোটাঅঙ্কের টাকা পেতেন। ক্লাব সংশ্নিষ্ট কিছু অসাধু কর্মকর্তাও মোটা অঙ্কেরটাকা পেয়ে অবৈধভাবে স্পোর্টিং ক্লাবগুলোকে ক্যাসিনো বসাতে সহায়তা করেন।তদন্তে পাওয়া সবার নাম তালিকাভুক্ত করা হচ্ছে।আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও ক্লাবপাড়ার সংশ্নিষ্ট সূত্র জানায়, প্রভাবশালীনেতাদের নির্দেশে ঢাকায় আরও অন্তত ১০টি ক্যাসিনো বসানোর পরিকল্পনা ছিলনেপালি নাগরিক হ্যারির। এতে সহায়তা দিয়ে আসছিল পুরান ঢাকার গে ারিয়ার রশীদভূঁইয়া, এনামুল হক এনু ভূঁইয়া ও রুপন ভূঁইয়া নামের তিন ভাই। র্যাব তাদেরবাড়িতে অভিযান চালিয়ে পাঁচ কোটি টাকা উদ্ধারের পর তারাও আত্মগোপনে রয়েছে।এর বাইরে ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের ক্যাসিনোর অংশীদার হিসেবে করিম, মোবারক ওসানি নামে আরও তিনজন রয়েছে। তাদের হয়ে পাভেল সবকিছু দেখভাল করত। তবে তারাসবাই পলাতক।স্থানীয় লোকজন জানিয়েছে, এনামুল ভূঁইয়াদের বাবা সিরাজুল ইসলাম ভূঁইয়ানব্বইয়ের দশকে ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের দারোয়ান ছিলেন। ক্লাবে চলা জুয়ারবোর্ডের সদস্যরা তাকে ২০ টাকা থেকে শুরু করে ৫০ টাকা বকশিশ দিতেন। ওই সময়েক্লাবগুলোর নিয়ন্ত্রণ ছিল আরামবাগের নাসির নামে এক সন্ত্রাসীর হাতে। নাসিরএসব ক্লাব থেকে নিয়মিত মাসোহারা নিতেন। তার কাছ থেকে কিছু টাকা পেতেনসিরাজুল ইসলাম ভূঁইয়া। এক পর্যায়ে নাসির খুন হয়ে গেলে ওই মামলায় সিরাজুলভূঁইয়া কয়েক বছর জেলও খাটেন। কারাগার থেকে বেরিয়ে নিজেই জুয়ার নিয়ন্ত্রণনেন। তার হাত ধরেই তার ছেলেরা প্রথমে হাউজি জুয়ার দেখভাল শুরু করে। একপর্যায়ে তারা ক্যাসিনো মালিক বনে যায়।লোকমান ভূঁইয়া ও ফিরোজ ফের রিমান্ডে :মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের পরিচালক ওবাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালক লোকমান হোসেন ভূঁইয়া এবংকলাবাগান ক্রীড়া চক্রের সভাপতি সফিকুল আলম ভূঁইয়া ফিরোজকে ফের রিমান্ডেনেওয়া হয়েছে। গতকাল তাদের পৃথক আদালতে হাজির করে লোকমান ভূঁইয়াকে দু'দিনেররিমান্ডে নেওয়া হয় এবং ফিরোজকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়।পুলিশ ও আদালত সূত্র জানায়, লোকমানের দু'দিনের রিমান্ড শেষে গতকাল তাকেআদালতে হাজির করে ফের পাঁচ দিনের রিমান্ড চান তদন্তকারী কর্মকর্তা তেজগাঁওথানার এসআই কামরুল ইসলাম। মাদক আইনে দায়ের করা মামলায় উভয়পক্ষের শুনানিশেষে জামিন আবেদন নাকচ করে দু'দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন হাকিম। এর আগে ২৭সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগর হাকিম তার দু'দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন। গত ২৫সেপ্টেম্বর বিপুল পরিমাণ মদসহ র্যাব তাকে গ্রেফতার করেছিল। এর আগে ২০সেপ্টেম্বর গ্রেফতার হয়েছিলেন ফিরোজ। | ক্যাসিনো |
পেঁয়াজের সেঞ্চুরি | প্রকাশ: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ | ১৩:৪১ | রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে পেঁয়াজের দাম লাগামহীন। কাঁচাবাজারে এক কেজিপেঁয়াজের দাম সেঞ্চুরি ছাড়িয়েছে। গতকাল সোমবার এক দিনের ব্যবধানেই পণ্যটিরদাম এক লাফে কেজিতে বেড়েছে ৪০ টাকা। ভারত পেঁয়াজ রফতানি বন্ধের ঘোষণাদেওয়ার পরপরই দেশে অসাধু ব্যবসায়ীরা অস্বাভাবিকভাবে দাম বাড়ালেন। গতকালরাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ১১০ থেকে ১২০ টাকা ওআমদানি করা পেঁয়াজ ১০০ থেকে ১১০ টাকায় কিনেছেন ক্রেতারা।পরিসংখ্যানে দেখা যায়, দু'সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কেজিতে বেড়েছে ৭০টাকা। ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির কারণে বাজারে সব ধরনেরপেঁয়াজে চড়া দাম দিতে হচ্ছে ক্রেতাদের। গত ১৩ সেপ্টেম্বর ভারতের স্থানীয়বাজার নিয়ন্ত্রণে নূ্যনতম রফতানি মূল্য ৮৫০ ডলার বেঁধে দেয় দেশটির বৈদেশিকবাণিজ্য অধিদপ্তর। এ ঘোষণার পর ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে দেশের বাজারে পেঁয়াজেরদাম বেড়ে যায়। ওই সময়ে কেজিতে ৩০ টাকা বেড়ে দেশি পেঁয়াজ ৮০ ও ভারতীয় পেঁয়াজ৭০ টাকায় বিক্রি হয়। সম্প্রতি ভারতের স্থানীয় বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়েযাওয়ায় গত রোববার প্রতিবেশী দেশটি পেঁয়াজ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এরফলে গতকাল দেশের বাজারে কেজিতে ৪০ টাকা বেড়ে দেশি পেঁয়াজ ১২০ ও আমদানিপেঁয়াজ ১১০ টাকায় উঠেছে। এ ছাড়া ঈদুল আজহার আগেই নানা কৌশলে বাজারে প্রথমদফায় পেঁয়াজের দাম বাড়ান ব্যবসায়ীরা। গত ৭ জুলাই কেজিতে ১৫ টাকা বেড়ে দেশিপেঁয়াজ ৫০ ও ভারতীয় পেঁয়াজ ৪৫ টাকায় বিক্রি হয়। এর একদিন আগেও দেশি পেঁয়াজ৩০ থেকে ৩৫ ও ভারতীয় পেঁয়াজ ২৮ থেকে ৩০ টাকা ছিল। দাম আরও বাড়তে পারে- এ আশঙ্কায় গতকাল ঢাকার বাজারে ক্রেতারা হুমড়ি খেয়েপড়েন। অনেকে বেশি বেশি করে কিনেছেন। এ সুযোগ নেন অসাধু ব্যবসায়ীরা। এদিকেবাণিজ্য সচিব মো. জাফর উদ্দীন হুঁশিয়ার করেছেন, কেউ পেঁয়াজের মজুদ করেবাজার অস্থির করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বাজার স্থিতিশীল রাখতেন্যায্যমূল্যে পেঁয়াজ বিক্রি বাড়িয়েছে টিসিবি। বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহথাকলেও ব্যবসায়ীরা দাবি করছেন, আমদানি করা পেঁয়াজের সরবরাহ সংকটে দামবেড়েছে। তবে এত অল্প সময়ের ব্যবধানে পেঁয়াজের এই অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধিঅযৌক্তিক মনে করছে সরকার ও ক্রেতারা।গতকাল রাজধানীর মিরপুর ১ নম্বর বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা জিয়াউর রহমান বলেন,পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ার খবরে ক্রেতারাও বেশি কিনছেন। একজন ক্রেতা গতকালসকালে পাঁচ কেজি কিনেছেন। ওই ক্রেতা দুপুরে আরও ১০ কেজি নিয়ে গেছেন। দাম বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বিক্রিও বহুগুণ বেড়েছে। অন্যদিন দুই বস্তা পেঁয়াজবিক্রি করলেও গতকাল ছয় বস্তা বিক্রি করেছেন। এই বাজারের শ্রীরাম ভান্ডারেরপাইকারি ব্যবসায়ী কানাই লাল সাহা বলেন, কাঁচামালের দাম বাড়লে কেনাবেচা বেশিহয়। এ বাজারে প্রতিদিন ২০০ বস্তা পেঁয়াজ বিক্রি হলেও গতকাল ৫৫০ থেকে ৬০০বস্তা পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে। উত্তর পীরেরবাগ বাজারের দোকানি জসিম উদ্দিনজানান, এখন দেশি পেঁয়াজ ১২০ ও ভারতীয় পেঁয়াজ ১১০ টাকা কেজি। এই পেঁয়াজরোববার সকালেও যথাক্রমে ৮০ ও ৭০ টাকায় বিক্রি করেছেন। গতকাল পাইকারি বাজারথেকে এই পেঁয়াজ দ্বিগুণ দামে কিনেছেন বলে জানান তিনি। গতকাল রাজধানীর কারওয়ান বাজার ও পুরান ঢাকার শ্যামবাজার আড়তে পাইকারি প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ ১০০ থেকে ১০৫ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ ৯০ থেকে ৯৫ ওমিয়ানমারের পেঁয়াজ ৮০ থেকে ৯০ টাকায় বিক্রি হয়। এই আড়তগুলোতে মিয়ানমারেরপেঁয়াজ আলাদা দামে তেমন বিক্রি হয়নি। সবই ভারতীয় বলে চড়া দামে বিক্রি করাহয়। গত রোববার সকালে শ্যামবাজারের পাইকারি আড়তে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ৫৮থেকে ৬০ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ ৫৪ থেকে ৫৫ ও মিয়ানমারের পেঁয়াজ ৫০ থেকে ৫২টাকা কেজি ছিল। এ হিসাবে পাইকারিতে প্রায় দ্বিগুণ বেড়েছে। এই পেঁয়াজআমদানিতে বাড়তি মূল্য না দিয়েই কেজিতে ৪০ টাকা অতিরিক্ত মুনাফা করছেনব্যবসায়ীরা।শ্যামবাজারের ব্যবসায়ী ও পেঁয়াজ আমদানিকারক রতন সাহা সমকালকে জানান, ভারতরফতানিতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার ফলে আমদানির বিভিন্ন পর্যায়ে থাকা পেঁয়াজশিপমেন্ট বন্ধ হয়ে যায়। এতে সরবরাহ ঘাটতির আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে ব্যবসায়ীদেরমধ্যে। তিনি দাবি করেন, বর্তমানে বাজারে পেঁয়াজ থাকলেও পাইপলাইনে তেমন নেই।ফলে আগামী দিনে আরও সংকট তৈরি হতে পারে। কারণ, মিসর ও তুরস্ক থেকে পেঁয়াজআসতে সময়ের প্রয়োজন হবে। এ সময়ের মধ্যে ভারত পেঁয়াজ রফতানি নিষেধাজ্ঞা তুলেনিলে আমদানি করে বিপাকে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। ভারতীয় পেঁয়াজ আসা শুরু হলেমিসর ও তুরস্কের পেঁয়াজের চাহিদা কমায় দামও কমে যায়। এ কারণে ঝুঁকি নিয়েআমদানি করতে চান না ব্যবসায়ীরা। তিনি বলেন, এ ক্ষেত্রে দুই দেশের সরকারেরমধ্যে চুক্তি করে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে দ্রুত আমদানির ফলে সংকটের সমাধানসম্ভব। মিয়ানমারের পেঁয়াজ ভারতীয় নামে বেশি দামে বিক্রি :বাজারে দাম বেড়ে যাওয়ায়মিয়ানমার থেকে কম দামে পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে। রাজধানীর পাইকারি ও খুচরাবাজারে মিয়ানমারের এই পেঁয়াজ ভারতীয় বলে চড়া দামে বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা।কারওয়ান বাজারে মিয়ানমারের পেঁয়াজ ৯০ টাকা কেজিতে বিক্রি হতে দেখা যায়।শ্যামবাজারে এই পেঁয়াজ ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। একই পেঁয়াজ খুচরায় ১১০ টাকাকেজিতে কিনছেন ক্রেতারা। অথচ মিয়ানমার থেকে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম পড়ছে৪০ টাকা কেজি। কারসাজি করলে ব্যবস্থা নেবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় :বাণিজ্য সচিব ড. মো. জাফরউদ্দীন গতকাল মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ভারত পেঁয়াজ রফতানি বন্ধকরায় উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই। দেশে পর্যাপ্ত পেঁয়াজ মজুদ আছে।পাশাপাশি মিয়ানমার, তুরস্ক ও মিসর থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। একইসঙ্গে টিসিবির ট্রাক সেল বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ ছাড়া পেঁয়াজের সরবরাহ,বাজারদর পর্যবেক্ষণে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ১০টি মনিটরিং টিম গঠন করেছে। এসবটিম দেশের যেসব অঞ্চল থেকে বেশি বেশি পেঁয়াজ সরবরাহ হয় এবং পাইকারিবাজারগুলো মনিটর করবে। একই সঙ্গে কোথাও কোনো পক্ষ পেঁয়াজের সরবরাহবাধাগ্রস্ত করলে বা কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থানেবে এসব টিম। বাণিজ্য সচিব বলেন, ট্যারিফ কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, দেশে প্রতিদিন ছয় হাজারটন পেঁয়াজের চাহিদা রয়েছে। দেশের প্রধান পেঁয়াজ উৎপাদনকারী অঞ্চল বৃহত্তরফরিদপুর, পাবনাসহ সারাদেশে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রায় তিন লাখ টন পেঁয়াজচাষি ও ব্যবসায়ীদের কাছে মজুদ আছে, যা দিয়ে আগামী ৫০ থেকে ৫৫ দিন দেশেরপেঁয়াজের চাহিদা মেটানো সম্ভব। এ সময়ের মধ্যে দেশে নতুন পেঁয়াজ বাজারে চলেআসবে। ফলে পেঁয়াজের বাজারে অস্থিরতার কোনো কারণ নেই।সচিব আরও বলেন, এসব মজুদ পেঁয়াজ যাতে স্বাভাবিকভাবে বাজারে সরবরাহ করা হয়এবং বাজারের কোনো পক্ষ যাতে কারসাজি করতে না পারে, সে জন্য বাণিজ্যমন্ত্রণালয়ের তদারকি টিমগুলো কাজ করবে। পাশাপাশি সংশ্নিষ্ট জেলার ডিসিরাও এবিষয়ে উদ্যোগ নেবেন। মনিটরিং টিমগুলো রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন বাজারেপেঁয়াজের সরবরাহ ও মূল্য পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবে। ফলে আশা করা যাচ্ছে,পেঁয়াজের বাজার স্বাভাবিক থাকবে। সচিব বলেন, দেশে পেঁয়াজের দর নির্ধারণ হয়আমদানি মূল্যের ওপর। আমদানি মূল্য বেড়ে যাওয়ায় দাম বেড়েছে। তবে তাকোনোভাবেই অস্বাভাবিক পর্যায়ে যেতে দেওয়া হবে না।টিসিবির পেঁয়াজের কেজি ৪৫ টাকা :দুর্গাপূজা সামনে রেখে বাজারদর নিয়ন্ত্রণেরাখতে ঢাকা মহানগরসহ সারাদেশে ট্রাকে করে পেঁয়াজসহ কয়েকটি নিত্যপ্রয়োজনীয়পণ্য বিক্রিতে নেমেছে রাষ্ট্রায়ত্ত বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অববাংলাদেশ (টিসিবি)।বাণিজ্য সচিব জানান, এত দিন রাজধানীতে ১৬টি ট্রাকে টিসিবি পেঁয়াজ বিক্রিকরত। কাল (মঙ্গলবার) থেকে ৩৫টি ট্রাকে করে ৪৫ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রিকরা হবে। টিসিবি কত দিন পেঁয়াজ বিক্রি করবে- জানতে চাইলে বাণিজ্য সচিববলেন, বাজারের প্রয়োজন অনুযায়ী বিক্রি করা হবে। যত দিন বাজার স্বাভাবিক নাহচ্ছে, তত দিন এই বিক্রি চলবে।ঢাকাসহ বিভাগীয় শহরগুলোতে এসব পণ্য সাশ্রয়ী মূল্যে বিক্রি করা হবে বলেটিসিবির প্রধান তথ্য কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির জানিয়েছেন। তিনি বলেন, টিসিবিনির্ধারিত স্থানগুলোতে ট্রাক থেকে জনসাধারণ কেজিপ্রতি পেঁয়াজ ৪৫ টাকায়,চিনি ও মশুর ডাল ৫০ টাকা ও সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ৮৫ টাকায় কিনতে পারবেন।বিজ্ঞপ্তিতে টিসিবি জানিয়েছে, একজন ক্রেতা সর্বোচ্চ দুই কেজি পেঁয়াজ, চারকেজি চিনি, চার কেজি ডাল ও পাঁচ লিটার সয়াবিন তেল কিনতে পারবেন। গতকালবাজারে চড়া দাম থাকায় ন্যায্যমূল্যে টিসিবির পেঁয়াজ কিনতে ভিড় করেছে সাধারণমানুষ। দীর্ঘ লাইনে অপেক্ষা করে ৪৫ টাকা কেজিতে পেঁয়াজ কিনছেন তারা।রাজধানীর মতিঝিলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে ও ফার্মগেটে টিসিবির পণ্য কিনতেলম্বা লাইন দেখা গেছে। ভোক্তাদের সংগঠন কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদকহুমায়ুন কবির সমকালকে বলেন, দেশি এবং আগে কম দামে আমদানি করা পেঁয়াজের দামঅস্বাভাবিকভাবে বাড়ানোর কোনো যৌক্তিকতা নেই। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী কারসাজিকরে দাম বাড়িয়েছেন। এটা অতি মুনাফার লোভে করছেন তারা। পেঁয়াজের দাম নিয়েঅস্থিরতা বন্ধে সরকারের পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। তিনি বলেন, টিসিবির এত কমসক্ষমতা নিয়ে বাজার নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ভূমিকা রাখা সম্ভব নয়। রাষ্ট্রায়ত্তএই সংস্থাটিকে আরও শক্তিশালী করা উচিত। পাশাপাশি বাজার স্বাভাবিক রাখতেঅভিযান জোরদার করতে হবে। ক্রেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, পেঁয়াজ পরিমিত কেনাউচিত। যাতে বাজারে অস্থিরতা তৈরি না হয়। কারণ, পেঁয়াজের বাড়তি এ দাম থাকবেনা। | পেঁয়াজের সেঞ্চুরি |
দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী | প্রকাশ: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ | ২১:৪০ | আপডেট: ০১ অক্টোবর ২০১৯ | ০৯:০৮ | প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৭৪তম অধিবেশনে যোগদানের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে আটদিনের সরকারি সফর শেষে দেশে ফিরেছেন।প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট মঙ্গলবার ভোর ৫টা ৫০ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে অবতরণ করে। খবর বাসসের।মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী মো. আশরাফ আলী খান খশরু, বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী, মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব নজিবুর রহমান, বেসামরিক বিমান ও পর্যটন সচিব মো. মুহিবুল হক এবং পদস্থ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তারা বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান।এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের জনএফ কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর ছেড়ে আসা প্রধানমন্ত্রী ও তার সফর সঙ্গীদের বহনকারী ইতিহাদ এয়ারওয়েজের ফ্লাইট (ইওয়াই-১০০) সোমবার স্থানীয় সময় রাত ৮টায় আবুধাবি আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে অবতরণ করে। আবুধাবিতে প্রায় তিন ঘণ্টা যাত্রা বিরতির পর প্রধানমন্ত্রী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে করে ঢাকার উদ্দেশে আবুধাবি ত্যাগ করেন। এ সময় আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান বিমান বন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান।এর আগে গত ২৯ সেপ্টেম্বর স্থানীয় সময় রাত ১১টা ৩৫ মিনিটে ফ্লাইটটি আবুধাবির উদ্দেশে নিউইয়র্কের জনএফ কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর ত্যাগ করে।যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জিয়া উদ্দিন এবং জাতিসংঘে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি মাসুদ বিন মোমেন বিমান বন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান।প্রধানমন্ত্রী ইউএনজিএ’র ৭৪তম অধিবেশনে যোগ দিতে গত ২০ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন।শেখ হাসিনা ২৭ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সদর দফতরে ইউএনজিএ’র অধিবেশনে ভাষণ দেন এবং জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের সঙ্গে বৈঠক করেন।নিউইয়র্কে তিনি সার্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা, জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি), পররাষ্ট্র সম্পর্ক, রোহিঙ্গা সংকট, শিক্ষা ও বৈশ্বিক মাদক সমস্যা বিষয়ে বেশ কয়েকটি উচ্চ পর্যায়ের অনুষ্ঠানে যোগ দেন।প্রধানমন্ত্রী দুটি আন্তর্জাতিক পুরস্কার পান। এগুলো হচ্ছে-যুবকদের দক্ষতা উন্নয়ন এবং টিকাদান কর্মসূচিতে বংলাদেশের ব্যাপক সাফল্যের স্বীকৃতি হিসেবে যথাক্রমে ইউনিসেফের ‘চ্যাম্পিয়ন অব স্কিল ডেভেলপমেন্ট ফর ইয়ুথ’ ও জিএভিআই-এর ‘ভ্যাকসিন হিরো’ পুরস্কার।জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগদানের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, উন্নয়নের জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থায়ন বিষয়ক জাতিসংঘ মহাসচিবের স্পেশাল অ্যাডভোকেট ডাচ রানী ম্যাক্সিমা এবং বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের কো-চেয়ার বিল গেটসসহ বেশ কয়েকজনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন।প্রধানমন্ত্রী মার্কিন প্রেডিসেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেওয়া এক সংবর্ধনায় যোগ দেন।তিনি যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ আয়োজিত নাগরিক সংবর্ধনা এবং যুক্তরাষ্ট্র চেম্বার অব কমার্স আয়োজিত মধ্যাহ্নভোজ গোলটেবিল বৈঠকে যোগ দেন। | প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, জাতিসংঘ |
টেকনাফে 'বন্দুকযুদ্ধে' নিহত ২ | প্রকাশ: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ | ২১:৪৭ | আপডেট: ০১ অক্টোবর ২০১৯ | ০৩:৫৮ | কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের সঙ্গে 'বন্দুকযুদ্ধে' দুই ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। পুলিশের দাবি, তারা মাদক ব্যবসায়ী ছিলেন।মঙ্গলবার ভোরে টেকনাফের উত্তর শীলখালী পাহাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।নিহতেরা হলেন-টেকনাফের উত্তর শিলখালী গ্রামের উলা মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ আমীন (৩৭) ও মৌলভী পাড়ার মোহাম্মদের ছেলে হেলাল উদ্দিন (২১)। টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ জানান, আগে ওই মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতার করা হয়। পরে তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী মঙ্গলবার ভোরে উত্তর শীলখালী পাহাড়ি এলাকায় মজুদ রাখা ইয়াবা ও অস্ত্র উদ্ধারে যায় পুলিশের একটি দল। এসময় গ্রেফতার দলের লোকজন পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়ে তাদের ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। পরে পুলিশও অত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়। হামলাকারীরা পালিয়ে গেলে ঘটনাস্থল থেকে গুলিবদ্ধ অবস্থায় ওই দুইজনককে উদ্ধার করে টেকনাফ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাদের কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠালে সেখানে তাদের মৃ্ত্যু হয়। ওসি জানান, এ ঘটনায় তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে দুইটি এলজি, সাত রাউন্ড শর্টগানের তাজা কার্তুজ এবং পাঁচ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করেছে পুলিশ। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক টিটু চন্দ্র শীল বলেন, পুলিশ গুলিবিদ্ধ দুইজনকে নিয়ে আসেন। তাদের একজনের শরীরে দুটি, আরেকজনের তিনটি গুলির আঘাত রয়েছে। আহত পুলিশ সদস্যদের চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। | বন্দুকযুদ্ধ, নিহত, টেকনাফ |
রাজশাহীতে বিপদসীমার ৪৬ সেন্টিমিটার নিচে পদ্মার পানি | প্রকাশ: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ | ২১:৫১ | বিহার ও উত্তর প্রদেশের বন্যার পানি আসতে থাকায় রাজশাহীতে পদ্মার পানি বেড়েই চলেছে। মঙ্গলবার সকাল ৬ টায় পদ্মায় পানির উচ্চতা ছিলো ১৮ দশমিক ৪ মিটার। অর্থ্যাৎ বিপদসীমার মাত্র ৪৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।সোমবার সকাল ৬টায় পানির উচ্চতা ছিল ১৭ দশমিক ৯০ মিটার। ২৪ ঘণ্টায় পানি বেড়েছে ১৪ সেন্টিমিটার।রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপাত্ত সংগ্রহকারী এনামুল হক এসব তথ্য জানিয়েছেন।রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ আলী বলেন, পদ্মায় পানি বাড়লেও শহরে এখনো তা ঢুকবে না। শহরের সাথে সংযুক্ত সুইচগেটগুলো শিগগিরই বন্ধ করে দেয়া হবে। তবে চাঁপাইনবাবগঞ্জ, গোদাগাড়ী, পবা, বাঘা ও চারঘাটের চরাঞ্চলে বন্যায় ক্ষতির আশংকা আছে।এদিকে বাঘার চরাঞ্চলের ১১ টি স্কুল রোববার থেকে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সেখানে প্রায় দুই হাজার পরিবার পানিবন্দী রয়েছে।পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম তার ফেসবুকে জানিয়েছেন, এসব পানিবন্দী মানুষকে সরিয়ে নিতে জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। | পদ্মা, পানি |
গাজীপুরে ডাকাতিকালে গৃহকর্তা খুন | প্রকাশ: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ | ২২:৪৬ | গাজীপুর সিটি করপোরেশনের দক্ষিণ সালনা এলাকায় একটি বাড়িতে ডাকাতিকালে গৃতকর্তাকে খুন করেছে ডাকাতেরা। সোমবার রাত ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তির নাম আব্দুর রউফ (৬০)। তিনি স্থানীয় মসজিদ কমিটির সভাপতি ছিলেন ও কৃষি কাজ করতেন। এ সময় রউফের স্ত্রী মাজেদা বেগমকে কুপিয়ে জখম এবং স্বর্ণালঙ্কার লুট করে নিয়ে গেছে ডাকাতেরা।স্থানীয়রা জানায়, রাতে দক্ষিণ সালনা এলাকায় আব্দুর রউফের বাড়িতে একদল ডাকাত দেশিয় অস্ত্র নিয়ে হানা দেয়। এ সময় তারা গেটের তালা ও দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে ঘরের লোকজনকে বেঁধে ফেলে। এক পর্যায়ে তারা আব্দুর রউফকে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করে। এ সময় তার স্ত্রী মাজেদাকে কুপিয়ে জখম ও স্বর্ণালঙ্কার লুট করে নিয়ে যায় ডাকাতেরা। পরে তাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে আহত মাজেদাকে উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ভর্তি করে। গাজীপুর মেট্রোপলিটন সদর থানার ওসি মো. এজাজ সফি জানান, পূর্ব শত্রুতার জেরে দুর্বৃত্তরা আব্দুর রউফকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। খবর পেয়ে রাতে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। | খুন, ডাকাতি, গাজীপুর |
গুজরাটে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২১ | প্রকাশ: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ | ২৩:০৩ | আপডেট: ০১ অক্টোবর ২০১৯ | ০৩:৫১ | ভারতের গুজরাটে সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তত ২১ জন নিহত হয়েছেন। এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৫০ জন। সোমবার উত্তর গুজরাটের বনসকণ্ঠ এলাকায় একটি যাত্রীবাহী বাস উল্টে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে। খবর এনডিটিভির।প্রবল বৃষ্টিতে রাস্তা পিচ্ছিল হওয়ায় বাসের চালক নিয়ন্ত্রণ হারান। বাসটিতে ৭০ জন যাত্রী ছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। সব যাত্রীই একই গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। অম্বাজী মন্দির থেকে ফিরছিলেন তারা।পুলিশ জানিয়েছে, আহতদের দান্তা ও পানলপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আহতদের মধ্যে ৩৫ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।ওই এলাকায় গত জুনে আরেক দুর্ঘটনায় নয়জনের মৃত্যু হয়। এ দুর্ঘটনায় শোক জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। টুইটারে তিনি বলেন, দুর্ঘটনায় মৃত্যুর খবরে আমি খুবই শোকাহত। নিহতদের স্বজনদের প্রতি আমি সমবেদনা জানাই। আহতদের পাশে থেকে সব ধরনের সাহায্য করছে স্থানীয় প্রশাসন। তাদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।রাজ্য ও স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে এ নিয়ে কথা বলেছেন বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। টুইটারে তিনি লিখেছেন, গুজরাটের বাস দুর্ঘটনায় মৃত্যুর খবর পেয়ে আমি গভীরভাবে শোকাহত। আমি স্থানীয় ও রাজ্য প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেছি, প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা করছে তারা। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি। | সড়ক দুর্ঘটনা, নিহত |
বন্যার পানিতে ‘মৎস্যকন্যা’ সেজে ফটোশুট | প্রকাশ: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ | ২৩:২০ | বন্যার পানিতে ভেসে গেছে ভারতের বিহারের রাজধানী পাটনার অনেক বাড়ি ও হাসপাতাল। প্রায় বুক সমান পানি বহু এলাকায়। ফলে সপ্তাহান্তে শহরের জনজীবন কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে যায়। এমন পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার বন্যাবিধ্বস্ত পাটনার রাস্তায় দেখা যায় এক তরুণীর ফটোশুট।তরুণীর নাম অদিতি সিংহ। ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি'র ছাত্রী অদিতির ওই বৃষ্টিনিমগ্ন পাটনায় তোলা ছবি ইতোমধ্যে ভাইরাল হয়েছে। ইনস্টাগ্রাম ও ফেসবুকে ছবিগুলো শেয়ার করেছেন ফটোগ্রাফার সৌরভ অনুজ। খবর এনটিভিরওই ছবির সিরিজের নাম ‘মারমেইড ইন ডিজাস্টার'। লাল পোশাকে মৎস্যকন্যার ভূমিকায় অদিতি। সৌরভ অবশ্য জানিয়ে দেন, এই ছবির উদ্দেশ্য কেবল পাটনার বন্যা বিপর্যয়কে তুলে ধরা।তিনি ফেসবুকে লেখেন, ফোটোশুট কেবল পাটনার বর্তমান পরিস্থিতিকে তুলে ধরবার জন্য করা হয়েছে। এটাকে ভুল ভাবে নেবেন না।ইনস্টাগ্রামে ছবিগুলো ১০,০০০ লাইক পেয়েছে। পাশাপাশি পেয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। কেউ কেউ বলছেন ছবিগুলো বন্যার্তদের জন্য অপমানজনক।অনেকেই পাটনার বর্তমান পরিস্থিতিকে তুলে ধরার জন্য সৌরভ ও অদিতিকে ধন্যবাদ দিয়েছে। কিন্তু অনেকেই দাবি করেন, এখানে বন্যাকে কেবল পটভূমি হিসেবে ব্যবহার করে তাকে রোমান্টিকভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে নিজেদের স্বার্থে।ফেসবুকে একজন লেখেন, ফটোশুট হয়ে গেলে বিপর্যস্ত কাউকে সাহায্য করুন। অন্য আর একজন লেখেন, আপনারা প্রাকৃতিক বিপর্যয়কে রোম্যান্টিসাইজ করছেন।আবার অনেকে একে সমর্থনও করেছেন। একজন লিখেছেন, কনসেপ্টটা দারুণ। কেন সবাই এই ছবি দেখে ক্ষুব্ধ হচ্ছেন? অন্ধ আবেগ নিয়ে সমালোচনা করবেন না। | ভারত, বন্যা, ফটোশুট |
পাবনা ও কুষ্টিয়ায় পদ্মার পানি বিপদসীমার ওপরে | প্রকাশ: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ | ২৩:৫৩ | আপডেট: ০১ অক্টোবর ২০১৯ | ০৪:০৫ | পাবনা ও কুষ্টিয়ায় পদ্মা নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে দুই জেলার নিম্নাঞ্চলের বহু মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন, তলিয়ে গেছে জমির ফসল। পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ড হাইড্রোলজি বিভাগের (উত্তরাঞ্চলীয়) নির্বাহী প্রকৌশলী কেএম জহিরুল হক জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় পদ্মার পাকশী হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে পানি বেড়েছে ১৪ সেন্টিমিটার। আর মঙ্গলবার সকাল ১০টায় বিপদসীমা ১৪ দশমিক ২৫ সেন্টিমিটার অতিক্রম করেছে। এর আগে সকাল ৯টার পরিমাপ অনুযায়ী, বিপদসীমার এক সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল পানি।পদ্মার পানি বিপদসীমা অতিক্রম করায় ঈশ্বরদী উপজেলার সাঁড়া, পাকশী, সাহাপুর ও লক্ষীকুন্ডা ইউনিয়নের প্রায় ১ হাজার হেক্টর জমির ফসল তলিয়ে গেছে। এতে আবাদ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন এসব এলাকার কৃষকরা। কৃষকরা জানান, আর দু-একদিন এভাবে পানি বাড়তে থাকলে পদ্মার চরে আবাদ করা বাকি জমির ফসলও তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।পাবনা জেলা প্রশাসক কবীর মাহমুদ সমকালকে বলেন, পদ্মার পানি বিপদসীমা অতিক্রম করার আগে থেকেই পাবনা জেলা প্রশাসন সতর্ক দৃষ্টি রাখছে। ইতোমধ্যে স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে নদীরপাড় এলাকার এবং ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের বিষয়ে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। যখন যেভাবে প্রয়োজন প্রশাসন তখন সেখানে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।এদিকে পানি বৃদ্ধির ফলে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার রামকৃষ্ণপুর, চিলমারির পর ফিলিপনগর ও মরিচা ইউনিয়নের কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। পাশাপাশি কুমারখালী উপজেলার শিলাইদহ ইউনিয়নের কোমরকান্দি গ্রামে ভাঙন দেখা দিয়েছে।পদ্মায় পানি বাড়ায় গড়াই নদীতে পানি বাড়ছে প্রতিনিয়ত। জিকে ঘাট ছাড়াও বড় বাজার এলাকার বেড়িবাঁধের পাশে বেশ কিছূ ঘরবাড়িতে পানি ঢূকে পড়েছে। অনেকে বাড়িঘর ছেড়ে উঁচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন। পানি বাড়তে থাকলে কুষ্টিয়া রক্ষা বাঁধসহ অন্যান্য স্থাপনা ঝুঁকিতে পড়তে পারে বলে পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে। ভাঙন ঠেকাতে দ্রুত জিও ব্যাগ ফেলার প্রস্তুতি নিচ্ছে তারা।পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী পীযুষ কৃষ্ণ কুন্ডু বলেন, পানি এই মুহূর্তে বিপদসীমার কয়েক সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে করে দৌলতপুর উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নের পর ভেড়ামারা উপজেলার মোসলেমপুরে পানি ঢুকছে। এছ্ড়া কুষ্টিয়া শহর, কুমারখালী ও খোকসার কিছু এলাকায় পানি প্রবেশ করে ক্ষয়ক্ষতি বাড়তে পারে।জেলা প্রশাসক মো. আসলাম হোসেন বলেন, নদীর পানির উচ্চতা বাড়ায় নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করে প্রতিনিয়ত রিপোর্ট পাঠানো হচ্ছে। সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে প্রতি ঘণ্টায় বন্যা পরিস্থিতি মনিটরিং করা হচ্ছে। আমাদের একাধিক টিম ঘটনাস্থলে আছে। পর্যাপ্ত ত্রাণ প্রস্তুত রয়েছে। আরও ত্রাণ প্রয়োজন হলে আসবে।উল্লেখ্য, দীর্ঘ ১৬ বছর পর বিপদসীমা অতিক্রম করলো পদ্মার পানি। সর্বশেষ ২০০৩ সালে এই পয়েন্টে পানি বিপদসীমা অতিক্রম করেছিল। | পাবনা, পদ্মার পানি |
জয়পুরহাটে পুকুর থেকে দুই শিশুর মরদেহ উদ্ধার | প্রকাশ: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ | ২৩:৫৫ | জয়পুরহাটে দুই শিশু কন্যার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার সকালে পাঁচবিবি উপজেলার পূর্ব উঁচনা গ্রামের একটি পুকুর থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহতরা হলো-পাঁচবিবি উপজেলার উচনা গ্রামের রুবেল হোসেনের মেয়ে মরিয়ম আক্তার (৫) ও মোকলেছার রহমানের মেয়ে মুনিরা ভারভীন (৫)। পাঁচবিবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্ত মনসুর রহমান জানান, আপন চাচাতো বোন মরিয়ম আক্তার ও মুনিরা ভারভীন সোমবার বিকেলে উপজেলার পূর্ব উঁচনা গ্রামের এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে দাওয়াত খেয়ে বাড়ি ফিরে না আসায় পরিবারের সদস্যরা অনেক খোঁজাখুঁজি করেন। পরদিন মঙ্গলবার সকালে প্রতিবেশীরা একটি পুকুরে দুই শিশুর মরদেহ দেখে পুলিশকে খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। | জয়পুরহাট, শিশু |
কটিয়াদীতে বাসচাপায় আইনজীবী নিহত, সড়ক অবরোধ | প্রকাশ: ০১ অক্টোবর ২০১৯ | ০০:২৩ | আপডেট: ০১ অক্টোবর ২০১৯ | ০২:১৩ | কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার ভৈরব-কিশোরগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কে একটি মোটরসাইকেলকে যাত্রীবাহী বাস চাপা দিলে শাহানশাহ (৩০) নামে এক আইনজীবী নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কটিয়াদী উপজেলার মধ্যপাড়া বাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে এলাকাবাসী বাসটি ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের চেষ্টা করে এবং মহা সড়কটি অবরোধ করে রাখে। কটিয়াদী থানার ও হাইওয়ে ফাঁড়ির পুলিশ এক ঘণ্টা চেষ্টা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। নিহত শাহানশাহ কটিয়াদী উপজেলার বনগ্রাম ইউনিয়নের ঘিলাকান্দি গ্রামের ফারুকে আজমের ছেলে ও কিশোরগঞ্জ আদালতের আইনজীবী।দুর্ঘটনার খবর পেয়ে অনন্যা সুপার বাসটি ভাংচুর করে এলাকাবাসী। ছবি: সমকালস্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার সকালে বাড়ি থেকে মোটরসাইকেলে করে কিশোরগঞ্জ কোর্টের উদ্দেশ্যে রওনা দেন শাহানশাহ। পথে মহাসড়কের মধ্যপাড়া নামক স্থানে অনন্যা সুপার নামের যাত্রীবাহী বাস মোটরসাইকেলটিকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান তিনি। এ খবরে এলাকাবাসী বাসটি ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের চেষ্টা করে এবং মহা সড়কটি অবরোধ করে রাখে। পরে পরিবহনের মালিক সমিতির নেতারা ঘটনাস্থলে এসে এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেয়। খবর পেয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াহাব আইন উদ্দিন ও যুব মহিলা লীগ নেত্রী তানিয়া সুলতানা হ্যাপীও ঘটনাস্থলে যান। এরপর কটিয়াদী থানার ও হাইওয়ে ফাঁড়ির পুলিশ এক ঘণ্টা চেষ্টা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। হাইওয়ে ফাড়িঁর ইন চার্জ নাছির উদ্দিন মজুমদার বলেন, ঘটনার পর চালক দ্রুত পালিয়ে যায়। বাসটি আটক করা হয়েছে। | সড়কে মৃত্যু, সড়ক দুর্ঘটনা, কটিয়াদী |
১৫ মাস পর নদী থেকে উদ্ধার সচল আইফোন | প্রকাশ: ০১ অক্টোবর ২০১৯ | ০০:৩০ | হারিয়ে যাওয়া কোনও প্রিয়, দামি জিনিস খুঁজে পেলে কার না ভাল লাগে। আর যদি সেটি প্রিয় আইফোন হয় তবে তো কথাই নেই। নদীর তলা থেকে একটি আইফোন খুঁজে পেয়ে তার আসল মালিককে ফিরিয়ে দিলেন এক ইউটিউবার। এমনকি ফোনটি নাকি সচলও ছিল।মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাউথ ক্যারোলিনার এডিসটো নদীর কাছে সপরিবারে ঘুরতে গিয়েছিলেন এরিকা বেনেট। দিনটা ছিল ২০১৮ সালের ১৯ জুন। সেখানে নদীতে পড়ে যায় এরিকার ফোনটি। যাথাসাধ্য চেষ্টা করেও সেদিন আর ফোনটি খুঁজে পাননি তারা।মাইকেল বেনেট, একটি ইউটিউব চ্যানেল চালান, তিনি আবার সখের গুপ্তধন সন্ধানীও বটে। গত সপ্তহে মাইকেল ও তার কয়েকজন সঙ্গী এডিসটো নদীতে ‘গুপ্তধন’ খুঁজতে যান। সেখানে সত্যিই তারা গুপ্তধন পেয়ে যান। নদীর কাদার মধ্যে একটি দ়ড়ির মতো কিছু দেখে টান মারতেই উঠে আসে একটি ফোন।ফোনটি একটি শক্ত এয়ারটাইট প্যাকেটের মধ্যে ছিল। বাড়িতে এসে মাইকেল প্যাকেট থেকে বের করে, ফোনটিকে চার্জে বসিয়ে দেন। কিছুক্ষণ পর পাওয়ার বাটন চাপ দিতেই ফোনটি চালুও হয়ে যায়। কিন্তু পাসওয়ার্ড প্রোটেকটেড হওয়ায় ফোনটি অন হলেও অ্যাকসেস করা সম্ভব ছিল না। ফলে তার আসল মালিককে খুঁজে বের করা সম্ভব হচ্ছিল না।মাইকেল এবার বুদ্ধি করে ফোনটির সিমটি খুলে অন্য একটি ফোনে লাগান। সেখান থেকে তথ্য পেয়ে খুঁজে বের করেন আসল মালিককে। সেটাও সহজ কাজ ছিল না। যাই হোক, ফোনটির আসল মালিক এরিকা হারিয়ে যাওয়া ফোনের কথা শুনেই আপ্লুত হয়ে পড়েন। সূত্র: আনন্দবাজার। | আইফোন |
ক্যালগেরিতে চ্যানেল আইয়ের জন্মদিন উদযাপন | প্রকাশ: ০১ অক্টোবর ২০১৯ | ০০:৫৫ | আপডেট: ০১ অক্টোবর ২০১৯ | ০৪:১৬ | কানাডার ক্যালগেরিতে চ্যানেল আইয়ের ২১তম জন্মদিন উদযাপন করা হয়েছে। ক্যালগেরির বাংলাদেশ সেন্টারে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। শিশু, কিশোর থেকে শুরু করে সব বয়সী মানুষের উপস্থিতিতে এ আয়োজন পরিণত হয় প্রবাসী বাংলাদেশিদের মিলনমেলায়। গান, আবৃত্তি আর আলোচনা সভায় তুলে ধরা হয় বাংলাদেশের অগ্রগতির কথা।আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন-এ বি এম কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রেসিডেন্ট ড. মোহাম্মদ বাতেন, এ পি ডব্লিউ’র কো-চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ রফিক, সৈয়দা রওনক জাহান, সঙ্গীতশিল্পী ও নির্মাতা হাসান আবিদুর রেজা জুয়েল, রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী ইকবাল রহমান, বাংলাদেশ কানাডা অ্যাসোসিয়েশন অফ ক্যালগেরির প্রেসিডেন্ট কাজী এহাসান, বাংলাদেশ কানাডা অ্যাসোসিয়েশন অফ ক্যালগেরির সাধারণ সম্পাদক মো. রশিদ রিপন, আইসিডিসিএ’র পরিচালক অ্যান্থনি জ্যাকব, সংগীত শিল্পী সোহাগ হাসান, তাসফিন হোসেন তপু, বাংলাদেশ কানাডা অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি জুবায়ের সিদ্দিকী, বিশিষ্ট সংস্কৃতি ব্যক্তিত্ব মাহফুজুল হক মিনু, কবিতালোকের সভাপতি বায়জিদ গালিব, মৌ ইসলাম, খায়ের খন্দকার রুবেল, সংগীত শিল্পী সোহাগ হাসান, আবির খন্দকার ও আরও অনেকেIঅনুষ্ঠানটির সহযোগিতায় ছিলেন শাহাদাত রহমান, আজিম মর্তুজা এবং অপু। অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করেন উম্মে হাবিবা মিলি ও অনু।আলোচনায় বক্তারা চ্যানেল আইয়ের নানামাত্রিক অনুষ্ঠানের ভূয়সী প্রশংসা করেন।বিশ্বে চ্যানেল আইয়ের জনপ্রিয়তার আরও প্রসার ঘটুক এমনটাই প্রত্যাশা প্রবাসী বাংলাদেশিদের। | ক্যালগেরি, চ্যানেল আই |
বেতন নিয়ে চিন্তায় বিসিবি কর্মচারীরা | প্রকাশ: ০১ অক্টোবর ২০১৯ | ০০:৫৫ | মাসের ২৫ তারিখেই স্টাফদের বেতন দিয়ে দেয় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। বহু বছর ধরেই এই নিয়মে চলছে দেশের ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থা। এবার মাস পার হয়ে গেলেও বেতন যায়নি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অ্যাকাউন্টে। হঠাৎ করেই নিয়মের ব্যতিক্রম দেখে চিন্তায় পড়ে গেছেন বিসিবি স্টাফদের অনেকে। কর্মচারীদের আলোচনার বিষয়ই এখন বেতন কবে হবে। এ ব্যাপারে বিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) নিজামউদ্দিন চৌধুরীর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, 'বেতন হয়ে যাবে। হয়তো হয়েও গেছে।' যদিও বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল পর্যন্ত বেতন পাননি তারা।বিসিবি স্টাফদের বেতনের টাকা ছাড় হয় ফিন্যান্স কমিটির চেয়ারম্যানের স্বাক্ষরে। এ দায়িত্বে আছেন পরিচালক ইসমাইল হায়দার মল্লিক। জানা গেছে, কয়েকদিন ধরে তিনি বোর্ডে যাচ্ছেন না। ফিন্যান্স কমিটির চেয়ারম্যান না থাকলে চেকে স্বাক্ষর করেন বিসিবির আরেক পরিচালক মাহাবুবুল আনাম। অনেক দিন হলো বিদেশে আছেন তিনি। এরই মধ্যে গত বুধবার সম্পদের হিসাব চেয়ে দুদক তাকে তলব করেছে। ওইদিন রাতে বিসিবির আরেক পরিচালক ও মোহামেডান ক্লাবের ডিরেক্টর ইনচার্জ লোকমান হোসেন ভূঁইয়াকে গ্রেফতার করে র্যাব।ঝামেলা এড়াতে লোকমান হোসেনের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত বিসিবি পরিচালকদের অনেকেই গত কয়েকদিনে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে যাননি। ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে পরিচালক ইসমাইল হায়দার মল্লিকের ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি। তিনি দেশে না বিদেশে আছেন- এ খবর নিশ্চিত করতে পারছেন না ক্রিকেট বোর্ডের কর্মকর্তারাও। তবে মল্লিক ও মাহাবুবুল আনাম না থাকলেও বেতন হবে বলে জানান সিইও, 'বিকল্প আছে। উনারা না থাকলেও বেতন হবে।'ব্যবসায়িক কাজে বিদেশে অবস্থানরত মাহাবুবুল আনামের সঙ্গে সোমবার ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আজ বা কাল দেশে ফিরবেন তিনি। দুদকে তলব করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'আমার সব কিছুতেই স্বচ্ছতা আছে। গত কর বছরে অন্যতম সেরা করদাতা হয়েছি। এনবিআরের কার্ডও আছে। দুদক প্রয়োজন মনে করলে সম্পদের বিবরণ চাইতেই পারে। দেশের নাগরিক এবং একজন পরিচ্ছন্ন ইমেজের ব্যবসায়ী হিসেবে আমারও দায়িত্ব প্রশাসনকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করা। দুদকের চিঠি পেলে সম্পদের বিবরণ দেব।'মাহাবুবুল আনাম জানান, দুই বছর আগে কেউ একজন দুদকে অভিযোগ দিয়েছিল, বিসিবি থেকে ঠিকাদারি ও নিয়োগ বাণিজ্য করে অর্থ উপার্জন করেন তিনি। তখন বিসিবির কাছেও তার ব্যাপারে জানতে চেয়ে চিঠি দিয়েছিল দুদক। সে সময় দুদকের চিঠির জবাবও দিয়েছিলেন মাহাবুবুল। কিন্তু কোনো এক কারণে সে ফাইল এতদিনেও বন্ধ করা হয়নি বলে জানান বিসিবির এই পরিচালক। তিনি বলেন, 'ক্রিকেটের জন্য আমি টাকা খরচ করি। অর্থ উপার্জনের জন্য আমি ক্রিকেট বোর্ডে থাকি না। খেলাটিকে ভালোবাসি বলেই থাকি। বিসিবি আমার রুটি-রুজির জায়গা নয়। দেশের ক্রিকেটের উন্নয়নে কাজ করতে পারলে আমার ভালো লাগে। যারা পছন্দ করে না আমি ক্রিকেটের উন্নয়নের সঙ্গে থাকি, তাদেরই কেউ কেউ হয়তো আমাকে সমস্যায় ফেলতে কলকাঠি নাড়ে। এটি খুবই দুঃখজনক।'অবৈধভাবে ক্যাসিনো পরিচালনা এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের অভিযান শুরুর পর থেকেই দেশের ক্রীড়াঙ্গনে এক ধরনের অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। ঝামেলা এড়াতে বিসিবি কর্মকর্তাদের কেউ কেউ দূরে থাকার চেষ্টা করছেন। যে কারণে গত পরশু বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সভা হওয়ার কথা থাকলেও হয়নি। | খেলা, ক্রিকেট, বাংলাদেশ, বিসিবি |
কফি খাওয়া ভালো, তবে… | প্রকাশ: ০১ অক্টোবর ২০১৯ | ০০:৫৮ | আপডেট: ০১ অক্টোবর ২০১৯ | ০১:০৫ | বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় পানীয়ের মধ্যে 'কফি' অন্যতম। আড্ডা দেওয়ার সময়, ক্লান্তিবোধ থেকে মুক্তি পেতে কিংবা কাজের ফাঁকে ঘুম তাড়াতে চা বা কফি-র জুড়ি নেই। অনেকেই আছেন, যাদের দিনই শুরু হয় বেড টি বা কফি দিয়ে। কফিতে উপস্থিত ক্যাফেইন উপাদান মানুষের উপর উত্তেজক প্রভাব ফেলে ও উদ্দীপক হিসেবে কাজ করে।গবেষণায় দেখা গেছে, কফি লিভারের কার্যকারিতা বাড়ায়। সেই সঙ্গে ক্যান্সার প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে। এটি মানসিক ভাবে সুস্থ থাকতেও সাহায্য করে। কফিতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট থাকায় এটি স্বাস্থ্যের জন্য দারুণ উপকারী।গবেষকদের মতে, প্রতিদিন তিন থেকে চার কাপ কফি পান করলে নানা ধরনের উপকার পাওয়া যায়। যেমন- ১. হৃদরোগ, স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে২. ফ্যাটি লিভার কিংবা লিভার সেরোসিসের আশঙ্কা কমে যায়৩. ক্যান্সার প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে৪. ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে ৫. কফি পান করলে সতেজ অনুভূতি হয়। কফি শরীরে উদ্যম ও উৎসাহ তৈরি করে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উপকারিতার সঙ্গে সঙ্গে অতিরিক্ত কফি পানে কিছু ঝুঁকিও আছে। যারা খুব বেশি কফি পান করেন তাদের ক্ষেত্রে কফি নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। এছাড়া খালি পেটে কফি শরীরের পক্ষে মারাত্মক। বিশেষ করে ব্ল্যাক কফি ক্ষতির পরিমাণ কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয়। যেমন-১. খালি পেটে কফি খেলে বমি হতে পারে ২. কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ে ৩. মাথাব্যাথা হয়৪. ঘুম ব্যাহত হয় ৫. বেশি কফি খেলে গর্ভধারণের ক্ষমতা কমে যেতে পারে৬. অনিয়মিত হৃৎস্পন্দন বা উচ্চ রক্তচাপের আশঙ্কা বাড়ে৭. হরমোন ক্ষরণে ব্যাঘাত ঘটে । সূত্র: বোল্ড স্কাই | জীবনশৈলী, খাবার |
বগুড়ায় তক্ষক বিক্রির নামে প্রতারণা, গ্রেফতার ৩ | প্রকাশ: ০১ অক্টোবর ২০১৯ | ০১:০৫ | আপডেট: ০১ অক্টোবর ২০১৯ | ০১:০৭ | বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় তক্ষক বিক্রির নাম করে ব্যবসায়ীদের বাসায় এনে কৌশলে আটকে রাখত একটি চক্র। তারপর তাদের কাছে থাকা টাকা ছিনিয়ে নিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে ছেড়ে দিত তারা। ৫টি তক্ষকসহ এই চক্রের তিন জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। সোমবার বিকাল ৩টার দিকে উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের চেয়াম্যান শফিকুল ইসলাম রাজুর বিল্ডিংয়ের পঞ্চম তলা থেকে তক্ষক ৫টি উদ্ধার ও ওই তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়। তারা হলেন- শেরপুর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি তারিকুল ইসলাম তারেকের ছেলে শামসুজ্জোহা বিন তারেক নয়ন (২০), উপজেলার চকধলীর মৃত দলিল উদ্দিন মণ্ডলের ছেলে নূরুন্নবী (৫০) এবং মির্জাপুরের শুকুর আলী শেখের ছেলে মাকেজ আলী শেখ (৩২)।বগুড়া র্যাব-১২ এর কোম্পানি কমান্ডার এস এম মোর্শেদ হাসান জানান, গ্রেফতার তিনজন দীর্ঘদীন ধরে খানপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের বিল্ডিংয়ে অবৈধভাবে তক্ষক রেখে লোকজনের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিত। তক্ষক বিক্রির নাম করে তারা ব্যাবসায়ীদের কৌশলে নিয়ে এসে সেখানে আটকে রাখতো। পরে তার কাছে থাকা টাকা ছিনিয়ে নিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে ছেড়ে দিত।তিনি আরও জানান, অভিযানে ওই তিন ব্যক্তিকে হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়। বিল্ডিংয়ের মালিক খানপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পলাতক রয়েছে। গ্রেফতার তিন জনকে শেরপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে বন্য প্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। | প্রতারণা, গ্রেফতার, বগুড়া |
টেকনাফে ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক | প্রকাশ: ০১ অক্টোবর ২০১৯ | ০১:০৫ | কক্সবাজারের টেকনাফে ইয়াবাসহ জহির আহাম্মদ (৫০) নামের এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে র্যাব।মঙ্গলবার ভোরে টেকনাফ সদরের দক্ষিণ লেঙ্গুরবিল এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১১শ পিস ইয়াবাসহ তাকে আটক করা হয়।র্যাব-১৫ সিপিসি-১ টেকনাফ ক্যাম্প ইনচার্জ লে. মির্জা শাহেদ মাহাতাব এসব তথ্য জানিয়েছেন।তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে টেকনাফ সদরের দক্ষিণ লেঙ্গুরবিল এলাকার জহির আহাম্মদের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ইয়াবাসহ একজনকে আটক করে র্যাব। উদ্ধারকৃত ইয়াবার আনুমানিক মূল্য প্রায় সাড়ে ৫ লাখ টাকা। | কক্সবাজার, ইয়াবা |
রাজবাড়ীতে বিপদসীমার ওপরে পদ্মার পানি | প্রকাশ: ০১ অক্টোবর ২০১৯ | ০১:২৯ | আপডেট: ০১ অক্টোবর ২০১৯ | ০৪:০৭ | রাজবাড়ীতে পদ্মা নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে জেলার নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়েছে। পদ্মার পানি বাড়তে থাকায় রাজবাড়ী সদর উপজেলার বরাট, মিজানপুর, খানগঞ্জ ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রামের তিন শতাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী হাফিজুর রহমান জানান, মঙ্গলবার রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের ভাগ্যকুল পয়েন্টে পদ্মার পানি পাঁচ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপদসীমার সাত সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এই পয়েন্টে বিপদসীমা ৮ দশমিক ৬৫ সেন্টিমিটার। পদ্মার পানি সেখানে প্রবাহিত হচ্ছে ৮ দশমিক ৭২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে। অন্যদিকে, সদর উপজেলার মাহেন্দ্রপুর পয়েন্টে বিপদসীমার নিচে রয়েছে পদ্মার পানি। এ পয়েন্টের বিপদসীমা ৯ দশমিক ৭৫ সেন্টিমিটার। এই পয়েন্টে পানি প্রবাহিত হচ্ছে ৯ দশমিক ৫৪ সেন্টিমিটার দিয়ে। তিনি আরও জানান, পানি বেড়ে যাওয়ায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। আগামী তিন-চারদিন পানি আরও বাড়তে পারে। তবে পানি বাড়লেও স্রোতের গতি কম। ফলে নদী ভাঙনের আশঙ্কা নেই। রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক দিলসাদ বেগম জানান, তারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্মকর্তাদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছেন। পরিস্থিতি নিয়মিত মনিটরিং করা হচ্ছে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরির জন্যও সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তালিকা অনুযায়ী ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য করা হবে। | রাজবাড়ী, পদ্মা |
খুলনায় আ'লীগ কার্যালয়ে বোমা বিস্ফোরণে আইএসের 'দায় স্বীকার' | প্রকাশ: ০১ অক্টোবর ২০১৯ | ০১:৫২ | আপডেট: ০১ অক্টোবর ২০১৯ | ০১:৫৩ | খুলনার খানজাহান আলী থানাধীন শিরোমনি এলাকায় ৩৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে বোমা বিস্ফোরণের 'দায় স্বীকার' করেছে জঙ্গিগোষ্ঠী আইএস। মঙ্গলবার টুইটারে দেওয়া এক পোস্টে জঙ্গি তৎপরতা পর্যবেক্ষণকারী মার্কিন ওয়েবসাইট 'সাইট ইন্টেলিজেন্স' এ তথ্য জানিয়েছে।এদিকে এ ঘটনায় মঙ্গলবার সকালে ঢাকা থেকে আসা পুলিশের বোমা বিশেষজ্ঞ দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও বিস্ফোরিত বোমার আলামতগুলো সংগ্রহ করেন। তবে এ বোমা হামলার ঘটনায় মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি।বোমা বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত চেয়ার। -সমকালখুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার খন্দকার লুৎফুল কবীর মোবাইল ফোনে জানান, বিস্ফোরিত বোমাটি টাইম বোমা বা রিমোট কন্ট্রোল বোমা ছিল কি-না তা বোমা বিশেষজ্ঞ দল পরীক্ষা-নীরিক্ষা করে দেখছেন। প্রকৃতপক্ষে কারা কী উদ্দেশ্যে এ বোমা হামলা চালিয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সোমবার সন্ধ্যায় শিরোমনি এলাকার আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে এক যুবক একটি ব্যাগ রেখে চলে যায়। এর ১০ মিনিট পর বিকট শব্দে ব্যাগের মধ্যে থাকা বোমা বিস্ফোরিত হয়। তখন দলীয় কার্যালয়ে কেউ না থাকায় হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে কার্যালয়ের চেয়ার-টেবিল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। | বোমা বিস্ফোরণ, খুলনা, আইএস, দায় স্বীকার |
নদীতে হারিয়ে যাওয়া আইফোনটি ১৫ মাস পরও সচল! | প্রকাশ: ০১ অক্টোবর ২০১৯ | ০১:৫৭ | আমেরিকান নাগরিক মিচেল বেনেট পেশায় একজন ইউটিউবার। সেই সঙ্গে একজন গুপ্তধন শিকারিও তিনি। প্রায়ই তিনি গুপ্তধনের খোঁজে নদী কিংবা হ্রদে নেমে যান। সম্প্রতি এই গুপ্তধন শিকারি নদীর তলায় খুঁজে পেয়েছেন একটি আইফোন। আশ্চর্যের ব্যাপার হলো, নদীর তলদেশে দীর্ঘদিন থাকার পরও আইফোনটির কোনো ক্ষতি হয়নি। পুরোপুরি সচল রয়েছে সেটি।মিচেল তার চ্যানেল ‘নাগেটনগিন'-এ সকলের সামনে তুলে ধরেছেন তার এই অভিনব ‘গুপ্তধন' উদ্ধারের কাহিনি। ভিডিওতে দেখা গেছে, তিনি দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ার এডিস্টো নদীতে ঝাঁপ দিচ্ছেন মেটাল ডিটেক্টর নিয়ে। সেখান থেকে তিনি উদ্ধার করেন একটি আইফোন।কয়েক দিন আগে পোস্ট হওয়া ওই ইউটিউব ভিডিও এরই মধ্যে ভাইরাল হয়ে ছড়িয়ে পড়েছে নেট দুনিয়ায়। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মিচেল জানিয়েছেন, আইফোনটি পেয়ে তিনি প্রথমে বাড়িতে নিয়ে যান। এরপর সেটি চার্জ দিয়ে চালু করেন । কিন্তু ফোনটিতে পাসওয়ার্ড দেওয়া থাকায় ‘আনলক' করা যাচ্ছিল না। অবশেষে মিচেল ফোনের সিমটি খুলে অন্য ফোনে ঢুকিয়ে তার সাহায্যে ফোনের মালিককে খুঁজে বের করেন।হারানো আইফোনটি ফিরে পেয়ে এর মালিক এরিকা আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। তিনি জানান, ২০১৮ সালের ১৯ জুন তিনি পরিবারের সঙ্গে বেড়াতে গেলে দুর্ঘটনাক্রমে ফোনটি নদীতে পড়ে যায়। এরপর থেকে ফোনটি নদীর তলদেশেই পড়ে ছিল। এবারই প্রথমবার নয়। মিচেল এর আগে জুলাই মাসেও আইফোন এক্সআরের একটি ফোন খুঁজে পান। তারপর সেটিকেও পৌঁছে দেন মালিকের হাতে।গুপ্তধন শিকারি মিচেল এর আগেও নদীর তলদেশ থেকে আরও অনেক ‘গুপ্তধন' উদ্ধার করেছেন। যেমন -আমেরিকার গৃহযুদ্ধের সময়কার চিহ্ন, সোনার আংটি, অ্যাপল ঘড়ি, টাকা, ছুরি, গয়নাসহ আরও অনেক জিনিস।মিচেলের ইউটিউবের ‘বায়ো' থেকে জানা যায়, বারো বছর বয়সে মেটাল ডিকেক্টরটি উপহার পাওয়ার পর থেকেই তার ‘গুপ্তধন’ খোঁজার নেশা শুরু হয়।। তিনি জানান, অজানার সন্ধানে বেরিতে পড়তে তার দারুণ ভালো লাগে। সূত্র: এনডিটিভি | আন্তর্জাতিক, যুক্তরাষ্ট্র-কানাডা |
হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে ১৬ বছর পর বিপদসীমা ওপরে পদ্মার পানি | প্রকাশ: ০১ অক্টোবর ২০১৯ | ০২:০৪ | ঈশ্বরদীর পাকশী হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে দীর্ঘ ১৬ বছর পর বিপদসীমা অতিক্রম করেছে পদ্মার পানি। মঙ্গলবার হার্ডিঞ্জ ব্রিজের পানি পরিমাপ করার স্থানে সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ড হাইড্রোলজি বিভাগের উত্তরাঞ্চলীয় নির্বাহী প্রকৌশলী কেএম জহুরুল হক জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় পদ্মার পাকশী হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে পানি বেড়েছে ১৪ সেন্টিমিটার। মঙ্গলবার সকাল ১০টায় বিপদসীমা ১৪ দশমিক ২৫ সেন্টিমিটার অতিক্রম করেছে পানি। এদিকে পদ্মায় পানি বিপদসীমা অতিক্রম করায় ঈশ্বরদী উপজেলার সাঁড়া, পাকশী, সাহাপুর ও লক্ষীকুন্ডা ইউনিয়নের প্রায় ১ হাজার হেক্টর জমির ফসল তলিয়ে গেছে। সাহাপুর ইউনিয়নের পদ্মা নদীর পাড় ঘেঁষা চর এলাকায় আবাদ করা ফুলকপি, মূলা, বেগুন, মরিচ, করলা, লাউ, পটলসহ বিভিন্ন সব্জির ক্ষেত জলমগ্ন হয়ে পড়ায় সবজি নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকরা। সাঁড়া ইউনিয়নের কৃষক ইন্তেজার আলী জানান, চরের ৫ বিঘা জমিতে আগাম মাসকলাই চাষ করেছিলাম, ফলনও ভালো হয়েছিল, কিন্তু পদ্মার পানি হঠাৎ বাড়ার কারণে সব জমির ফসল তলিয়ে গেছে। সাঁড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এমদাদুল হক রানা জানান, অনেক বছর পর এবার পদ্মা নদীতে পানি বেড়ে যাওয়ায় কৃষকরা আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন।পাবনা জেলা প্রশাসক কবীর মাহমুদ সমকালকে বলেন, পদ্মার পানি বিপদসীমা অতিক্রম করার আগে থেকেই পাবনা জেলা প্রশাসন সতর্ক দৃষ্টি রাখছে। ইতিমধ্যে স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে নদীরপাড় এলাকার এবং ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের বিষয়ে খোঁজ-খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। যখন যেভাবে প্রয়োজন পাবনা জেলা প্রশাসন তখন সেখানে সেভাবে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।ঈশ্বরদী উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসের দেওয়া তথ্যমতে, এ মৌসুমে ঈশ্বরদীর পদ্মা নদীর চরাঞ্চলে বিভিন্ন ফসলের আবাদ হয়েছে প্রায় এক হাজার হেক্টর জমিতে। ইতিমধ্যে পদ্মা নদীতে অস্বাভাবিকভাবে পানি বৃদ্ধির ফলে চরাঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকার আবাদি ফসল তলিয়ে গেছে। তলিয়ে যাওয়া ফসলের অধিকাংশই দরিদ্র কৃষকদের। | ঈশ্বরদী, হার্ডিঞ্জ ব্রিজ |
জুনে বাংলাদেশ সফরে আসবে অস্ট্রেলিয়া | প্রকাশ: ০১ অক্টোবর ২০১৯ | ০২:১২ | ইংল্যান্ড বিশ্বকাপের পর শুরু হয়েছে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ। ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া, ভারত-ওয়েস্ট ইন্ডিজ, শ্রীলংকা-নিউজিল্যান্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে সিরিজ ফেলেছে। দক্ষিণ আফ্রিকাও এ মাসেই ম্যাচ খেলবে। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ খেলতে বাংলাদেশকে অপেক্ষা করতে হবে আরও প্রায় দেড় মাস। চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু হওয়ার বড় দলের বিপক্ষে সূচি অনুযায়ী বাংলাদেশ নিয়মিত টেস্ট খেলতে পারবে বলেই মনে হয়েছিল। কিন্তু অস্ট্রেলিয়া আগামী ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশ সফরে আসবে না বলে জানায়। তবে সফরটা ২০২০ সালের জুনে হবে বলে মঙ্গলবার নিশ্চিত করা হয়েছে।ফেব্রুয়ারিত দুই টেস্টের সিরিজ খেলতে বাংলাদেশে আসার কথা ছিল অস্ট্রেলিয়ার। তবে সেটা জুন-জুলাইয়ে সরিয়ে নেওয়ায় খুশি বলে জানিয়েছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। জুনের ওই সফর থেকে দু'দলই লাভবান হবে বলেও উল্লেখ করেছে তারা। অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট বোর্ডের ক্রিকেট অপারেশনসের প্রধান পিটার রোচ বলেন, 'আমরা ২০২০ সালের জুনে বাংলাদেশ সফরে আসবো ভেবে খুবই উচ্ছ্বসিত। এটা দারুণ এক সিরিজ হবে। আমরা দুই দেশের বোর্ড মিলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, সিরিজটা পরে হলে দুই দেশই লাভবান হবে।'সূচি অনুযায়ী, বাংলাদেশের বিপক্ষে ওই সিরিজের আগে কোন টেস্ট সিরিজ খেলবে না অজিরা। জানুয়ারিতে তারা ভারত সফরে আসবে ওয়ানডে খেলতে। ফেব্রুয়ারি-মার্চে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ আছে তাদের। এরপর জুনে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ খেলেই বাংলাদেশ সফরে আসবে তারা। এছাড়া সূচিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ আছে অ্যারণ ফিঞ্চের দলের। তবে আইসিসি জিম্বাবুয়েকে নির্বাসিত করায় সিরিজটা বাতিল করার সুযোগ পেয়ে গেছে অস্ট্রেলিয়া।দুই বছর আগে বাংলাদেশের মাটিতে দুই টেস্টের সিরিজ খেলে অস্ট্রেলিয়া। বাংলাদেশ ঢাকা টেস্টে জয় তুলে নিয়ে এগিয়ে যায়। এরপর অস্ট্রেলিয়া চট্টগ্রাম টেস্টে জিতে সিরিজ বাঁচায়। ওই সিরিজে স্পিন বড় ভূমিকা রাখে। ওই সিরিজের পরে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে বাংলাদেশের টেস্ট খেলার কথা ছিল। কিন্তু অজি ক্রিকেট বোর্ড সেই সিরিজ আয়োজন করেনি। পরে বাংলাদেশ দলকে স্বাগত জানানো হবে বললেও ডাকা হয়নি সাকিবদের। টেস্ট মর্যাদা পাওয়ার পর ২০০৩ সালে বাংলাদেশকে টেস্ট সিরিজের আমন্ত্রণ জানায় অস্ট্রেলিয়া। সাকিব, তামিম, মুশফিকরা তখনও বাংলাদেশ দলের আসেননি। দেশ সেরা ক্রিকেটারদের তাই অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টেস্ট খেলার অভিজ্ঞতা হয়নি আজও। | খেলা, ক্রিকেট, বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া, টেস্ট সফর-২০২০ |
সেলিম প্রধানের বনানীর বাসায় র্যাবের অভিযান | প্রকাশ: ০১ অক্টোবর ২০১৯ | ০২:১৭ | আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০১৯ | ০৭:৪১ | অনলাইনে অবৈধ ক্যাসিনো ব্যবসার মূলহোতা সেলিম প্রধানের বনানীর বাসায় অভিযান শুরু করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।মঙ্গলবার দুপুর থেকে বনানীর ২ নম্বর রোডের ২৬ নম্বর ভবনে সেলিমের বাসায় অভিযান চালাচ্ছেন র্যাব সদস্যরা।র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের সিনিয়র সহকারী পরিচালক (এএসপি) মিজানুর রহমান বলেন, সোমবার রাত থেকে তার বনানীর বাসাটি ঘিরে রাখা হয়। কার্যালয়ের পর এখন তার বনানীর বাসায় অভিযান চলছে।এর আগে সেলিম প্রধানের গুলশানের অফিস কাম বাসায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ দেশি-বিদেশি মদ, নগদ টাকা ও বিদেশি মুদ্রা জব্দ করে র্যাব। সোমবার দুপুরে থাই এয়ারওয়েজের টিজি-৩২২ নম্বর ফ্লাইটটি ছাড়ার আগমুহূর্তে সেলিম প্রধানকে আটক করা হয়। তিনি বাংলাদেশে অনলাইনে ক্যাসিনো ব্যবসায়ের মূলহোতা বলে জানায় র্যাব। | ক্যাসিনো, সেলিম প্রধান, র্যাব |
চীনে কমিউনিস্ট শাসনের ৭০ বছর পূর্তি উদযাপন | প্রকাশ: ০১ অক্টোবর ২০১৯ | ০২:৪০ | আপডেট: ০১ অক্টোবর ২০১৯ | ০৩:৫৫ | বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে কমিউনিস্ট শাসনের ৭০ বছরপূর্তি উদযাপন করছে চীন। ১৯৪৯ সালের ১ অক্টোবর জাপানি ঔপনিবেশিকতা থেকে মুক্ত হয়ে মাও সে তুংয়ের নেতৃত্বে চীনে সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হয়। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে মঙ্গলবার রাজধানী বেইজিংয়ের কেন্দ্রস্থল তিয়ানআনমেন স্কয়ারে ইতিহাসের অন্যতম বৃহৎ সামরিক কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। খবর বিবিসির।চীনের ঘরে ঘরে জাতীয় পতাকা টানানো হয়েছে। জাতীয় পতাকা শোভা পাচ্ছে শপিং মল এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোতেও।মাও সে তুং যেখানে দাঁড়িয়ে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন সেখানে দাঁড়িয়ে জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বলেছেন, এ পর্যন্ত কোনো শক্তিই চীনা জনতা ও জাতির অগ্রযাত্রা বন্ধ করতে পারেনি।কুচকাওয়াজ করছেন সেনারা-এএফপিএসময় তিনি মাও সে তুংয়ের মতো স্যুট পরিহিত অবস্থায় ছিলেন। চীনের স্বাধীনতায় মাও সে তুংয়ের ভূমিকা তুলে ধরে তার ভূয়সী প্রশংসা করেন জিনপিং।স্থানীয় সময় সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটে সামরিক মহড়া শুরু হয়। প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং একটি গাড়িতে দাঁড়িয়ে সামরিক কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন। এসময় সামরিক বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন তিনি। ৭০ বছর আগে চীনের কমিউনিস্ট পার্টি ক্ষমতাসীন কুয়োমিনটাং (কেএমটি) বা জাতীয় পার্টিকে পরাজিত করার পর মাও গণপ্রজাতন্ত্রী চীন প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দিয়েছিলেন।রাজতন্ত্রের পতনের পর এই পক্ষ দুটি ১৯২০ সাল থেকে রক্তক্ষয়ী এক গৃহযুদ্ধে পরস্পরের বিরুদ্ধে লড়ছিল।কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করছেন প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংচীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক কুচকাওয়াজের আয়োজন এটি। সামরিক বাহিনীর ৫৯টি পৃথক বিভাগের ১৫ হাজার সদস্য এ কুচকাওয়াজে অংশ নিচ্ছে। এতে ৫৮০টি সামরিক সরঞ্জাম প্রদর্শনী করা হবে, ওড়ানো হবে ১৬০টি এয়ারক্রাফট। কুচকাওয়াজে চীনের আট হাজার সদস্যের শক্তিশালী শান্তিরক্ষী বাহিনীর একটি দলও প্রথমবারের মতো অংশ নেবে।এতে সড়কে সহজে পরিবহনযোগ্য ডিএফ-৪১ আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্রের অত্যাধুনিক ভার্সনটি প্রথমবারে মতো প্রদর্শন করা হবে। এ মারণাস্ত্রটি বিশ্বের যে কোনো জায়গায় আঘাত হানতে এবং একই সময়ে ১০টি সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুকে আক্রমণে সক্ষম।প্রদর্শনীতে রাশিয়ার অ্যাভানগার্দ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থাপনার মতো হাইপারসনিক গ্লাইড ভেহিকল বহনে সক্ষম ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থাপনা ডিএফ-১৭রও দেখা মিলবে। জাহাজ ও বিমানবিধ্বংসী নতুন নতুন ক্ষেপণাস্ত্র ও ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের পাশাপাশি থাকবে দূরপাল্লার একাধিক রকেট লঞ্চারের উপস্থিতি।কুচকাওয়াজ করছেন সেনারা-এপিপ্রদর্শনীতে থাকছে রসদ সরবরাহ বিমান ওয়াই-২০, স্টিলথ জঙ্গিবিমান জে-২০সহ উড়ন্ত অবস্থায় জ্বালানি ভরা ও বিমান থেকে নিক্ষেপযোগ্য ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরিবহনে সক্ষম বোমারু বিমান এইচ৬-এনের সর্বশেষ ভার্সন।গত এক দশকে দেশটি প্রতি বছরেই তাদের সামরিক বাজেট ১০ শতাংশ বাড়িয়েছে। এ বছর তাদের সামরিক বাজেট দাঁড়িয়েছে ১৬৮ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলারে, যা বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। যুক্তরাষ্ট্রকে টেক্কা দিতে চীন যে অনেক বড় বড় ধাপ ফেলছে, তার একটি প্রমাণ পাওয়া যায় দেশটির সম্প্রতি প্রকাশিত এক শ্বেতপত্রে। তাতে বলা হয়েছে, ২০১৮ সালে বেইজিং শুধু সমরাস্ত্রের পরীক্ষা-নিরীক্ষা, প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়নেই ৫৬ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছে।বিশ্বব্যাংক ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) হিসাব অনুযায়ী, গত বছর চীনের মোট অর্থনীতির আকার ছিল ১৫ ট্রিলিয়ন ডলার। পশ্চিমের অনেক সমৃদ্ধ অর্থনীতির দেশও যখন বেকারত্ব সংকট কাটিয়ে উঠতে পারছে না, তখন চীনের বেকারত্বের হার ৪ দশদিক ৪ শতাংশ। ২০১৭ সালে ২ দশমিক ২৬ ট্রিলিয়ন ডলারের পণ্য রফতানি করেছিল চীন। বিপরীতে একই বছর দেশটি আমদানি করে ১ দশমিক ৮৪ ট্রিলিয়ন ডলারের পণ্য। অর্থাৎ আমদানির চেয়ে রফতানি বেশি করে চীন। চীনা পণ্যের সবচেয়ে বড় আমদানিকারক দেশ যুক্তরাষ্ট্র। | চীন, বছরপূর্তি |
চোট সারাতে ইংল্যান্ড যাচ্ছেন বুমরাহ | প্রকাশ: ০১ অক্টোবর ২০১৯ | ০৩:০০ | পরোক্ষভাবে হুমকিটা বাংলাদেশকে দিয়ে রেখেছেন বুমরাহ। চোটের কারণে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ঘরের মাঠে টেস্ট সিরিজে খেলতে পারছেন না তিনি। তবে পরের সিরিজে আরও শক্তিশালী হয়ে, সতেজ হয়ে তিনি ফিরে আসবেন বলে রেখেছেন। আর বুমরাহ এই সিরিজের পরে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশের বিপক্ষে। সতেজ বুহরাহর তোপ তাই সামলাতে হবে তামিম-সাকিবদের। সুস্থ হয়ে ওঠার লক্ষ্যে বুমরাহ ইংল্যান্ড সফরে যাচ্ছেন।'স্ট্রেস ফ্র্যাকচারের' চিকিৎসা নিতে ব্রিটেনে যাচ্ছেন জাসপ্রিত বুমরাহ। সোমবার ভারতীয় বোর্ডের এক কর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বুমরাহ তার কোমরের নিচ অংশে ব্যথা অনুভব করছেন। ওই ইনজুরির কারণেই তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজ থেকে ছিটকে গেছেন।বুমরাহর চোট নিয়ে ভারতীয় বোর্ডের ওই কর্তা বলেন, 'বুমরার চোট সারানোর জন্য বিশেষ পদক্ষেপ নিতে চলেছে ভারতীয় বোর্ড। লন্ডনে পাঠিয়ে তার চিকিৎসা করানো হবে। তিনি বেশ কিছু চিকিৎসকের কাছ থেকে পরামর্শ নেবেন।' ভারতের জাতীয় ক্রিকেট একাডেমির প্রধান ফিজিওথেরাপিস্ট আশিস কৌশিক থাকবেন বুমরাহর সঙ্গে।ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা বুধবার সিরিজের প্রথম টেস্ট খেলতে মাঠে নামবে। আর দর্শক হয়ে থাকা বুমরাহ প্রথম টেস্ট শেষ হলেই হয়তো ইংল্যান্ড যাবেন। আগামী ছয়-সাত অক্টোবর তার দেশ ছাড়ার সম্ভব্য তারিখ ধরা হয়েছে। সেখানে কাটাতে হতে পারে এক সপ্তাহ। ডাক্তাররা পরিক্ষা-নিরীক্ষা করে সিদ্ধান্তে আসলেই সে অনুযায়ী পদক্ষেপ নেবে বোর্ড।' | খেলা, ক্রিকেট, ভারত, বুমরাহ |
মুরাদনগরে ছাত্রীকে যৌন হয়রানি, মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক গ্রেফতার | প্রকাশ: ০১ অক্টোবর ২০১৯ | ০৩:১৫ | আপডেট: ০১ অক্টোবর ২০১৯ | ০৩:৩৯ | মুরাদনগর উপজেলা সদরের উম্মে হানি মহিলা মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের এক ছাত্রীকে (১০) যৌন হয়রানির অভিযোগে ওই মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক মাওলানা মো. হাসানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। হাসান উপজেলা সদরের নিমাইকান্দি গ্রামের মৃত আব্দুছ ছাত্তারের ছেলে। যৌন হয়রানির শিকার ওই ছাত্রীর মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবার রাতে তাকে মাদ্রাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়।অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ২৩ সেপ্টেম্বর দুপুরে ১০০ টাকা চুরির অভিযোগ এনে হেফজ বিভাগের ওই ছাত্রীকে তার অফিস রুমে ডেকে শরীরের স্পর্শকাতর বিভিন্ন জায়গায় হাত দেয় মাওলানা হাসান। ঘটনার পর মেয়েটি এক সপ্তাহ মাদ্রাসায় না গেলে তার মা তাকে মাদ্রাসায় যেতে জোর করার চেষ্টা করে। পরে ওই ছাত্রী মায়ের কাছে ঘটনা খুলে বলে। বিষয়টি জানার পর ছাত্রীর মা সোমবার রাতে মুরাদনগর থানায় এসে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এরপর সোমবার রাতে মাওলানা হাসানকে তার মাদ্রাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়। এলাকার দরিদ্র লোকজনের জমি দখল করে মাদ্রাসা নির্মাণের অভিযোগও রয়েছে মাওলানা হাসানের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে মুরাদনগর থানার ওসি এ কে এম মনজুর আলম বলেন, যৌন হয়রানির অভিযোগে এক শিশুশিক্ষার্থীর মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে মাওলানা হাসানকে আটক করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে তাকে কুমিল্লা কোর্টে চালান করা হয়েছে। | যৌন হয়রানি, শিক্ষক গ্রেফতার, মুরাদনগর |
জাতীয় লিগেও থাকবে জার্সি নম্বর | প্রকাশ: ০১ অক্টোবর ২০১৯ | ০৩:২০ | সর্বশেষ অ্যাসেজ সিরিজ দিয়ে টেস্টের জার্সিতে নামের সঙ্গে নম্বর যোগ হয়েছে। সাদা জার্সিতে নাম ও নম্বর নিয়ে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের একমাত্র টেস্টটি খেলেছে বাংলাদেশ। এবার ঘরোয়া প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট লিগেও নাম ও নম্বর লেখা জার্সিতে খেলা হবে। আগামী ১০ অক্টোবর থেকে শুরু হতে যাওয়া ২১তম জাতীয় ক্রিকেট লীগে নতুন জার্সির উদ্বোধন হবে।এবারের জাতীয় লিগ নিয়ে সোমবার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে সমন্বয় সভা করে বিসিবি। সেখানে সিদ্ধান্ত হয় দেশের চারটি ভেন্যু ফতুল্লাহর খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়াম, রাজশাহীর শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়াম, খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়াম ও ঢাকার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে হবে খেলা। এবারও দুই স্তরে হবে লিগ। প্রথম স্তরের চার দল রাজশাহী, খুলনা, রংপুর ও ঢাকা বিভাগীয় দল। দ্বিতীয় স্তরের লিগে খেলবে ঢাকা মেট্রোপলিটন, বরিশাল, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় দল।আন্তর্জাতিক ক্রিকেট না থাকায় জাতীয় লীগের এ মৌসুমের শুরু থেকেই জাতীয় দলের ক্রিকেটাররাও খেলবেন। ক্যারিবীয় প্রিমিয়ার লিগ টি-২০ খেলায় শুধু সাকিব আল আসান ও লিটন কুমার দাস চারদিনের এই লিগে খেলবেন না।নভেম্বরে ভারত সফর থাকায় টি-২০ দলের ক্রিকেটাররা দুই রাউন্ড পরই জাতীয় দলের ক্যাম্পে যোগ দেবেন। সেখানে টেস্ট ক্রিকেটাররা খেলবে তিন রাউন্ড পর্যন্ত। কারণ ভারত সফরে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ পরে হবে। এই লিগে অংশগ্রহণ করতে মঙ্গলবার ফিটনেস পরীক্ষা বিপ টেস্ট দেবেন দেশের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটাররা। বিপ টেস্টে ১১ স্কোর টার্গেট দেওয়া হয়েছে। | খেলা, ক্রিকেট, বাংলাদেশ, জাতীয় লিগ |
অবশেষে জব্দ করা হলো নিজামের পিস্তল | প্রকাশ: ০১ অক্টোবর ২০১৯ | ০৩:২৭ | আপডেট: ০১ অক্টোবর ২০১৯ | ০৪:০৮ | অবশেষে চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার চৌধুরীহাটের ব্যবসায়ী মো. নিজাম উদ্দিনের (৪১) পিস্তলটি জব্দ করা হয়েছে।সমকালে সংবাদ প্রকাশের পর সোমবার রাতে নিজামের পিস্তলটি জব্দ করেছে হাটহাজারী মডেল থানা পুলিশ। জায়গা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে গত ২১ সেপ্টেম্বর হাটহাজারীর এ ব্যবসায়ী তার লাইসেন্স করা পিস্তল উঁচিয়ে তার প্রতিপক্ষের উপর প্রকাশ্যে পর পর ৬ রাউন্ড গুলি করেন। এর আগেও সচল আছে কি না তা পরীক্ষা করে দেখতে তিনি একই পিস্তল দিয়ে ৩টি ফায়ার ও ২টি মিস ফায়ারসহ মোট ৫ রাউন্ড ফাঁকা গুলি করেন। নিয়ম অনুযায়ী, লাইসেন্স করা অস্ত্র থেকে গুলি করা হলে তা সংশ্লিষ্ট থানায় লিখিতভাবে জানানোর কথা থাকলেও তিনি তা মানেননি। নিজামের বিরুদ্ধে কথায় কথায় অস্ত্র দেখিয়ে এলাকার জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টিরও অভিযোগ ছিল। এ নিয়ে গত ২৮ সেপ্টেম্বর সমকাল অনলাইন ও ২৯ সেপ্টেম্বর সমকালের প্রিন্ট ভার্সনে প্রকাশ্যে পিস্তল উঁচিয়ে নিজামের গুলি নিক্ষেপের ছবিযুক্ত সংবাদ প্রকাশের পর প্রশাসনের টনক নড়ে। অবশেষে সোমবার রাতে হাটহাজারী মডেল থানা পুলিশ নিজামের বসতঘর থেকে তার লাইসেন্স করা পিস্তল, ১১ রাউন্ড গুলি ও একটি ম্যাগজিন জব্দ করে।পিস্তল জব্দের সত্যতা নিশ্চিত করে হাটহাজারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বেলাল উদ্দিন জাহাঙ্গীর সমকালকে বলেন, সমকাল ও বিভিন্ন মাধ্যমে লাইসেন্স করা পিস্তল দিয়ে নিজামের প্রকাশ্যে গুলি ও জনমনে ভীতি সঞ্চারের বিষয়টি জানতে পেরেছি। নিয়ম অনুযায়ী, গুলি নিক্ষেপের বিষয়টি থানায় লিখিতভাবে জানানোর কথা থাকলেও তিনি তা করেননি। আমরা তার অস্ত্রের লাইসেন্স বাতিলের জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করেছি। | পিস্তল জব্দ, নিজাম উদ্দিন |
শুদ্ধি অভিযান শুধু ঢাকায় নয়, সারাদেশে চলবে: শিক্ষামন্ত্রী | প্রকাশ: ০১ অক্টোবর ২০১৯ | ০৩:৩২ | শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, ক্যাসিনো ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে দুর্নীতিবাজ কেউ পার পাবে না। কোনো দল দেখে শুদ্ধি অভিযান চালানো হয় না। ডা. দীপু মনি বলেন, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ ও দুর্নীতিবাজ কোন দলের তা শেখ হাসিনা দেখেন না। তিনি যেভাবে দেশের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন দেশের মানুষ তাকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। এই শুদ্ধি অভিযান শুধু ঢাকা শহরে নয়, চাঁদপুরসহ সারা দেশেই অব্যাহত থাকবে।মঙ্গলবার সকালে চাঁদপুর সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনা সরকার সব সময়ই যে কোনো ধরনের অন্যায়ের বিরুদ্ধে সক্রিয়। দেশের উন্নয়নের লক্ষ্যে সচেষ্ট থাকেন। তারই অংশ হিসেবে দেশে শুদ্ধি অভিযান চলছে, দলমত নির্বিশেষে সারাদেশে এই শুদ্ধি অভিযান অব্যাহত থাকবে।এ সময় উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মো. মাজেদুর রহমান খান, পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও পৌর মেয়র নাছির উদ্দিন আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল প্রমুখ। | শিক্ষামন্ত্রী |
পান্তের বদলে একাদশে ফিরছেন সাহা | প্রকাশ: ০১ অক্টোবর ২০১৯ | ০৪:০১ | ইংল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দারুণ দুই সেঞ্চুরি করেছিলেন ঋষভ পান্ত। ভারতের টেস্ট দলে হয়ে উঠেছিলেন গুরুত্বপূর্ণ। ঋদ্ধিমান সাহার ইনজুরির সময়ে দলে জায়গা এক প্রকার পাকা করে ফেলেছিলেন তিনি। কিন্তু ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজটা খুবই খারাপ গেছে তার। তিন ইনিংসে ব্যাট করে রান করেন মাত্র ৫৮। অথচ ১১ টেস্টে তার গড় ৪৪.৩৫। খারাপ সময় যাওয়ায় দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তিন টেস্টের সিরিজে ভারতীয় একাদশে ঋদ্ধিমান খেলবেন বলে এক প্রকার নিশ্চিত করে দিয়েছেন ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলি।তিনি বলেন, 'ঋদ্ধিমান উইকেটরক্ষক হিসেবে কতটা ভালো সেটা সবাই দেখেছেন। দলের হয়ে তিনি দারুণ ক্রিকেট উপহার দিয়েছেন। ব্যাট হাতেও করেছেন ভালো। তার দূভাগ্য যে ইনজুরির কারণে দলের বাইরে চলে গিয়েছিলেন তিনি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজেই সাহা একাদশে ফেরার খুবই কাছে ছিলেন। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ঘরের মাঠে আবার টেস্ট ক্রিকেটে ফেরাই তার জন্য সেরা সময়।'ঋষভ পান্ত ভারতীয় দলে সুযোগ পেয়ে ভালো ক্রিকেট খেলেছেন। তবে সাহা আগামী ম্যাচে মাঠে নামার খুবই কাছে আছেন বলে উল্লেখ করেন তিনি। এই সময়ে ঋষভ আবার তার ফর্ম ফিরে পেয়ে ভালোভাবে ফিরে আসবে বলেও মনে করেন ভারতীয় অধিনায়ক। দলে সুযোগ পেয়ে ঋষভ ব্যাটিংয়ে এবং উইকেটের পেছনে ভালো করেছেন। তার তাই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সুযোগ প্রাপ্য ছিল বলেও উল্লেখ করেন এই ভারতীয় ব্যাটসম্যান কোহলি।তবে ঋদ্ধিমান সাহা টেস্ট ক্রিকেটের বিশেষজ্ঞ উইকেটরক্ষক বলে উল্লেখ করেন কোহলি, 'তিনি টেস্টের পিওর উইকেটরক্ষক। দলের চাপের সময়ে ব্যাট হাতেও দলকে ভরসা দিয়েছেন ঋদ্ধি। তিনি শুধু ভালো সুযোগের অপেক্ষায় ছিলেন। আমি মনে করি আবার সাহার দলে ফেরার এটাই সেরা সময়। কিপিং গ্লাভস হাতে নিয়ে এবং ব্যাট হাতে নিশ্চয় সেটা ঋদ্ধি প্রমাণ করবেন।' সাহা ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্টে কাঁধের ইনজুরিতে পড়েন। এরপর সার্জারি করে সুস্থ হয়ে আবার ক্রিকেটে ফেরেন তিনি। | খেলা, ক্রিকেট, ভারত, ঋদ্ধিমান সাহা |
ঢাকার ৮ ওসিকে বদলি | প্রকাশ: ০১ অক্টোবর ২০১৯ | ০৪:০৫ | আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০১৯ | ০৭:৪১ | ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) আট থানার ওসিকে বিভিন্ন থানায় বদলি করা হয়েছে। মঙ্গলবার ডিএমপি কমিশনার শফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক আদেশে এই বদলি করা হয়। এছাড়া তিন থানার ওসিকে ডিএমপি’র গোয়েন্দা বিভাগে বদলির নির্দেশও দেওয়া হয়।আদেশে ভাটারা থানার ওসি মো. আবু বকর সিদ্দিককে পল্টন মডেল থানায়, কলাবাগান থানার নিরস্ত্র পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ ইয়াসির আরাফাত খানকে মতিঝিল থানায়, খিলক্ষেত থানার ওসি মো. মোস্তাজিজুর রহমানকে মিরপুর মডেল থানায়, শ্যামপুর থানার ওসি মো. মিজানুর রহমানকে কোতোয়ালি থানায়, উত্তরা-পূর্ব থানার নিরস্ত্র পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) পরিতোষ চন্দ্রকে কলাবাগান থানায়, বিমানবন্দর থানার নিরস্ত্র পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোক্তারুজ্জামানকে ভাটারা থানায়, সবুজবাগ থানার নিরস্ত্র পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মফিজুল আলমকে শ্যামপুর থানায় এবং বনানী থানার নিরস্ত্র পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ বোরহান উদ্দিনকে খিলক্ষেত থানার ওসি হিসেবে বদলি করা হয়েছে।এছাড়াও একই আদেশে মতিঝিল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ওমর ফারুককে গোয়েন্দা উত্তর বিভাগে, মিরপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. দাদন ফকিরকে গোয়েন্দা দক্ষিণ ও কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ মো. সাহিদুর রহমানকে গোয়েন্দা পশ্চিম বিভাগে বদলি করা হয়েছে। | ডিএমপি, বদলি |
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণের আহ্বান ইউজিসি চেয়ারম্যানের | প্রকাশ: ০১ অক্টোবর ২০১৯ | ০৪:১৯ | আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০১৯ | ০৭:৪০ | বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ বলেছেন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা এখন অন্যতম প্রধান বিষয়। উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা এবং বিদ্যমান পরিস্থিতির পরিবর্তনে সংশ্লিষ্টদেরকে তিনি আরও মনোযোগী হওয়ার আহ্বান জানান।মঙ্গলবার ইউজিসি ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরের সম্পাদিত বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির মূল্যায়ন সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।ইউজিসি বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি নিয়ে এই মূল্যায়ন সভার আয়োজন করে। সরকারি কর্মব্যবস্থাপনা পদ্ধতির আওতায় ইউজিসি দেশের বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর করে। এই চুক্তির মূল উদ্দেশ্য দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে সুশাসন, স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা এবং উৎকর্ষ সাধন করা।অনুষ্ঠানে ইউজিসি চেয়ারম্যান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা অনেকাংশে নির্ভর করে দক্ষ রেজিস্ট্রারের ওপর। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসনসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। অতীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যবৃন্দ প্রশাসনিক কাজে রেজিস্ট্রারের ওপর নির্ভর করতেন। বর্তমানে দক্ষ রেজিস্ট্রারের অভাবে অনেক বিশ্ববিদ্যালয় ভারপ্রাপ্তদের দিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। সভাপতির ভাষণে ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. এম. শাহ্ নওয়াজ আলি বলেন, কতিপয় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে বৈরি অবস্থা বিরাজ করছে। এ পরিস্থিতিতে তিনি সবাইকে সজাগ থাকার পরামর্শ দেন। অনুষ্ঠানে ৪৬ টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসি’র পদস্থ কর্মকর্তা এবং এপিএ’র ফোকাল পয়েন্টরা উপস্থিত ছিলেন। | ইউজিসি |
টাঙ্গাইলে স্ত্রী হত্যায় স্বামীর মৃত্যুদণ্ড | প্রকাশ: ০১ অক্টোবর ২০১৯ | ০৪:২৩ | টাঙ্গাইলে যৌতুকের দাবিতে গৃহবধূ মন্টি ঘোষ হত্যা মামলায় তার স্বামী রনি ঘোষকে (৩২) মৃত্যুদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার দুপুরে টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক খালেদা ইয়াসমিন এ রায় দেন।দণ্ডিত রনি ঘোষ টাঙ্গাইল শহরের সাহা পাড়ার রবি ঘোষের ছেলে। উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে বর্তমানে তিনি পলাতক আছেন। রনির বাবা রবি ঘোষ ও ভাইয়ের স্ত্রী পূর্ণিমা ঘোষের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।মামলার বিবরণে ও আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালের ৩০ জুন গাজীপুরের নীলনগর গ্রামের চিনি ঘোষের মেয়ে মন্টি ঘোষের সঙ্গে টাঙ্গাইল শহরের সাহাপাড়ার রনি ঘোষের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে তাদের দাম্পত্য কলহ চলে আসছিল। বিয়ের আড়াই মাসের মাথায় রনি ঘোষ স্ত্রীর কাছে ১০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। শ্বশুরের কাছ থেকে টাকা এনে দেওয়ার জন্য মন্টির ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতে থাকেন তিনি। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কলহের এক পর্যায়ে ২০১৩ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর রাতে মন্টিকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন রনি। এ ঘটনায় পরদিন মন্টির বাবা চিনি ঘোষ বাদী হয়ে রনি ঘোষ, তার বাবা রবি ঘোষ, ভাই অজিত ঘোষ, সঞ্জিত ঘোষ ও রনির ভাইয়ের বউ পূর্ণিমা ঘোষকে আসামি করে টাঙ্গাইল সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।দীর্ঘ তদন্তের পর অজিত ঘোষ ও সঞ্জিত ঘোষকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা এসআই সালাউদ্দিন। শুনানি ও যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আদালত রবি ঘোষ ও পুর্নিমা ঘোষের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের বেকসুর খালাস দেন এবং রনি ঘোষের বিরুদ্ধে হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তার মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি অ্যাডভোকেট একেএম নাছিমুল আক্তার নাছিম বলেন, মামলা চলাকালে রনি ঘোষ উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেয়েছিলেন। এরপর থেকে তিনি আত্মগোপনে আছেন।টাঙ্গাইলের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এস আকবর আলী খান বলেন, এই মামলার রায়ে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তবে রায়ে সন্তষ্ট নন মামলার বাদী চিনি ঘোষ। তিনি বলেন, যে দু'জনকে খালাস দেওয়া হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবো। | স্ত্রীকে হত্যা, মৃত্যুদণ্ড, টাঙ্গাইল |
মনোনয়নপত্র গ্রহণ করেই যে প্রতিশ্রুতি দিল দুই প্যানেল | প্রকাশ: ০১ অক্টোবর ২০১৯ | ০৪:৩১ | আপডেট: ০১ অক্টোবর ২০১৯ | ০৯:৪৩ | বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির আসন্ন নির্বাচনে লড়ছে দুটি প্যানেল। একটি মৌসুমী-ডি এ তায়েব এবং অন্যটি মিশা সওদাগর ও জায়েদ খান প্যানেল। মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত মনোনয়ন গ্রহণ করার সুযোগ পান প্রার্থীরা। দুই প্যানেলের পক্ষ থেকে ২১ জন করে প্রার্থীর জন্য মোট ৬০টি মনোয়নয়নপত্র গ্রহণ করা হয়। এবারের নির্বাচনে স্বতন্ত্রভাবে কেউ মনোনয়নপত্র ক্রয় করেননি বলেই জানা গেছে।মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে মিশা-জায়েদ খান প্যানেলের পক্ষ থেকে জায়েদ খান, ইমন, সুব্রত জেসমিনসহ অনেকে এফডিসিতে শিল্পী সমিতির কার্যালয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ইলিয়াস কাঞ্চনের হাত থেকে মনোনয়নপত্র গ্রহণ করেন। এ সময় নৃত্য পরিচালক মাসুম বাবুল তাদের সঙ্গে ছিলেন।পরে বেলা ৩টার দিকে মনোনয়নপত্র গ্রহণ করতে সমিতির কার্যালয়ে আসেন মৌসুমী ও ডি এ তায়েব। তারা ইলিয়াস কাঞ্চনের হাত থেকে মনোনয়নপত্র গ্রহণ করেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার ইলিয়াস কাঞ্চনের কাছ থেকে মনোনয়ন গ্রহণ করে মিশা সওদাগর ও জায়েদ খান প্যানেলমনোয়নপত্র গ্রহণ করার পর মৌসুমী বলেন, 'আমরা ২১ জন প্রার্থীর জন্য ৩০টি ফরম গ্রহণ করেছি। কিছু ফরম ভুলবশত বাদ যেতে পারে বলেই বাড়তি ৯টি ফরম নেওয়া হয়েছে। আগামী দুই দিন আমরা নিজেদের প্যানেল গোছাব। এরপর জানানো হবে প্যানেলে অন্য প্রার্থী কারা থাকছেন। কারণ অনেকেই আশ্বাস দিয়েছিলেন আমাদের সঙ্গে নির্বাচন করার। কিন্তু তারা সরে দাঁড়িয়েছেন। তাই আপাতত কারা থাকছেন সেটা এখনই বলছি না।’এ সময় মৌসুমী নির্বাচনে জয়ী হলে কী করবেন সে প্রতিশ্রুতির কথাও জানান। আরও জানান, সমিতির যে সদস্যদের বাদ দেওয়া হয়েছে জয়ী হলে তাদের নিয়ে পুনঃরায় ভাববেন তিনি। ভোটে যেই জয়ী হোক শিল্পীদের সবাইকে একসঙ্গে কাজ করারও আহবান জানান ঢাকাই ছবির জনপ্রিয় এ নায়িকা। মৌসুমীর মনোনয়ন গ্রহণ করার সময় তার স্বামী ওমর সানী উপস্থিত ছিলেন।মৌসুমীর প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ডি এ তায়েব বলেন, ‘আমি সবসময় শিল্পীদের পাশে থেকেছি। প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে শিল্পীদের সহায়তা আনার ব্যাপারে সবসময় কাজ করছি। আমাদের প্যানেল বিজয়ী হলে কাজটি আরও গতি পাবে। মৌসুমী আপাকে সঙ্গে নিয়ে শিল্পীদের উন্নয়নে আরও কাজ করব। একই সঙ্গে বিজয়ী হলে শিল্পীদের আবাসন সমস্যার দিকে নজর দেব। তাদের জন্য রাজধানীতে ফ্ল্যাটের ব্যবস্থা করবো।’শিল্পী সমিতির বর্তমান মেয়াদের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে আছেন জায়েদ খান। দ্বিতীয় মেয়াদে এবারের নির্বাচনের মনোনয়ন গ্রহণ করার পর তিনি বলেন, আমাদের বর্তমান কমিটি জয়ী হওয়ার পর কী করেছে সেটা সব শিল্পীই জানেন। তাদের সমর্থন নিয়ে তাই আবারও আমাদের প্যানেল নির্বাচন করছে। এবার জয়ী হলে কাজের গতি আরও বাড়বে। শিল্পীদের পাশে আগে ছিলাম এবারও থাকতে চাই।’ এদিকে নির্বিাচন ঘিরে এখন মুখর এফডিসি প্রাঙ্গণ। এবারে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করছেন জ্যেষ্ঠ নায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন। তিন সদস্যের আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রযোজক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম খান। বাকি দুজন সদস্য হলেন পরিচালক সোহানুর রহমান ও রশিদুল আমিন। ২৬ সেপ্টেম্বর তফসিল ঘোষণা দিয়ে শুরু হয় ২০১৯-২১ দ্বি-বার্ষিকী নির্বাচন। শুক্রবার খসড়া ভোটার তালিকায় ৪৪৯ সদস্যের নাম প্রকাশ করা হয়। ৩ অক্টোবর দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনারের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে। ওই দিনই বিকেল ৫টায় প্রার্থীদের খসড়া তালিকা প্রকাশ করা হবে। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ৫ অক্টোবর। ওই দিনই চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশিত হবে। | শিল্পী সমিতির নির্বাচন, বিনোদন , মনোনয়ন |
সেলিমের ২ বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা, বৈদেশিক মুদ্রা ও মদ উদ্ধার | প্রকাশ: ০১ অক্টোবর ২০১৯ | ০৪:৩৮ | আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০১৯ | ০৭:৪০ | অনলাইনে অবৈধ ক্যাসিনো ব্যবসার মূলহোতা সেলিম প্রধানের গুলশান ও বনানীর বাসায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ নগদ টাকা, বৈদেশিক মুদ্রা, ব্যাংক চেক ও বিদেশি মদ উদ্ধার করেছে র্যাব। মঙ্গলবার দুপুরে র্যাব-১ এর সিও ও মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক সারোয়ার বিন কাশেম এ তথ্য জানান।এর মধ্যে বনানীর বাসায় অভিযান চালিয়ে নগদ ২১ লাখ টাকার বেশি উদ্ধার করা হয়েছে। বনানীর ২ নম্বর রোডের ২৬ নম্বর ভবনে সেলিমের বাসায় মঙ্গলবার দুপুর থেকে অভিযান চালায় র্যাব সদস্যরা।র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের সিনিয়র সহকারী পরিচালক (এএসপি) মিজানুর রহমান বলেন, সোমবার রাত থেকে তার বনানীর বাসাটি ঘিরে রাখা হয়। কার্যালয়ের পর তার বনানীর বাসায় অভিযান চালানো হয়।এর আগে সোমবার রাতে সেলিম প্রধানের গুলশানের অফিস কাম বাসা মমতাজ ভিশন থেকে নগদ সাত লাখ টাকা, ৭৭ লাখ টাকা সমমানের বিদেশি মুদ্রা ও আট কোটি টাকার চেক পেয়েছে র্যাব। এ ছাড়া সেখানে বিদেশি মদ ও হরিণের চামড়া পাওয়া গেছে। তার আগে সোমবার দুপুরে থাই এয়ারওয়েজের টিজি-৩২২ নম্বর ফ্লাইটটি ছাড়ার আগমুহূর্তে সেলিম প্রধানকে আটক করা হয়। তিনি বাংলাদেশে অনলাইনে ক্যাসিনো ব্যবসায়ের মূলহোতা বলে জানায় র্যাব। | বনানী, সেলিম প্রধান |
ফিটনেস পরীক্ষায় ফেল আশরাফুল-নাসিররা | প্রকাশ: ০১ অক্টোবর ২০১৯ | ০৪:৪২ | বিপ টেস্টে ১১ নম্বরের মাপকাঠির সঙ্গে একমত নন সবাই। দু'দিন আগেই যেমন জাতীয় লিগের নিয়মিত মুখ তুষার ইমরান বললেন, বিপ টেস্টে ১১ নির্ধারণ করা তরুণ ক্রিকেটারদের জন্য ঠিক আছে। কিন্তু রাজ্জাক ভাই আমার মতো সিনিয়রদের জন্য এটা বাধ্যতামূলক করা ঠিক হয়নি। বিপ টেস্টের মতো শক্ত ফিটনেস পরীক্ষায় ১১ তোলার আস্থা তার মতো অনেকেরই ছিল না।মঙ্গলবার হওয়া প্রথম ফিটনেস টেস্টে তাই ১১ নম্বর না পাওয়ায় ফেলের খাতায় পড়েছেন অনেকে। তবে তরুণদের মধ্যে পরিচিত নাম তেমন একটা নেই ওই তালিকায়। আবার দু-একজন সিনিয়রও বিপ টেস্টে ভালো করেছেন। বাংলাদেশ জাতীয় দলে খেলা মোহাম্মদ আশরাফুল বিপ টেস্টে পেয়েছেন সাড়ে নয়। আব্দুর রাজ্জাকও দশের ঘরে উঠতে পারেননি।অবাক করার ব্যাপার হলো ফিট ক্রিকেটার বলে ক্যারিয়ারের শুরুতে পরিচিতি পাওয়া নাসির হোসেন পরীক্ষায় পাস করতে পারেননি। তিনিও উঠতে পারেননি দশের কোটায়। এছাড়া ইলিয়াস সানিও আছেন ফেলের কাতারে। আরাফাত সানি ১০.৯ পেয়ে অল্পের জন্য ফেলের খাতায় পড়েছেন। নয়ের ঘরে আটকে যাওয়া ক্রিকেটারও আছেন। তবে দীর্ঘদিন জাতীয় দলের বাইরে থাকা জুনায়েদ সিদ্দিকি বিপ টেস্টে পেয়েছেন ১১.২ নম্বর।সাব্বির রহমান এবং রাজশাহী জোনে খেলে ওপেনার মিজানুর রহমানও ১১'র ওপরে নম্বর তুলেছে। মিজানুর তো ফেসবুকে একটি সেলফি পোস্ট করেছেন সাব্বির-জুনায়েদকে নিয়ে। এটাকে পরীক্ষায় জিপিএ-সিজিপিএ পাওয়ার সঙ্গে তুলনা করেছেন। লিখেছেন, 'জুনায়েদ ভাই সিজিপিএ ১১.২, আমার সিজিপিএ ১১.৬।' ওদিকে আবু হায়দার এবং জুবায়ের হোসেন ১১.১ ও ১১.২ পেয়ে টেনে টুনে পাস করেছেন।ফিটনেস বা বিপ টেস্ট পরীক্ষা আগেও ছিল। এবার শুধু নম্বর বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এটা অনেকের জন্য কঠিন হয়ে পড়েছে। তবে সামনে আরও সুযোগ থাকছে পরীক্ষা দিয়ে ১১ তোলার। মোহাম্মদ আশরাফুল যেমন ৯.৭ পেয়েছেন। তিনি বিসিবির ফিটনেসে জোর দেওয়াকে ইতিবাচকভাবে নিয়েছেন। নিজে মনে করছেন সপ্তাহখানেক ঘাম ঝরিয়ে গেলে তিনিও লক্ষ্যে পৌছে যাবেন। বিসিবি নির্বাচক হাবিবুল বাশার বলেন, 'পরীক্ষাটা কঠিন। তবে সবাই ইতিবাচকভাবে নিয়েছে।' | খেলা, ক্রিকেট, বাংলাদেশ, জাতীয় ক্রিকেট লিগ |
দুস্থদের জন্য যে কারণে জুতা সংগ্রহ করে ছেলেটি | প্রকাশ: ০১ অক্টোবর ২০১৯ | ০৪:৫১ | আপডেট: ০১ অক্টোবর ২০১৯ | ০৪:৫৮ | বছর তিনেক আগের কথা। যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডোর অধিবাসী ১১ বছরের কাইলার নিপার তখন ছিক্স গ্রেডের ছাত্র ছিল। স্কুলে জীর্ণ জুতা পরার জন্য প্রায়ই তার সহপাঠীরা তাকে নিয়ে হাসাহাসি করতো।একদিন স্কুলে জীববিজ্ঞান ক্লাসে ঢোকার আগে কাইলারের কয়েকজন সহপাঠী আবারও তার মলিন জুতা নিয়ে উপহাস করতে শুরু করে। এর মধ্যে একজন হঠাৎ করে কাইলারের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে তার কাঁধ ও বুকে পেন্সিলের ধারালো অংশ দিয়ে কয়েকবার আঘাত করে। এতে কাইলারের ফুসফুস ফুটো হয়ে যায়। ঘটনার পর পরই কাইলারকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে সে তিনদিন ভর্তি ছিল। কাইলারের মা জানান, সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেও ছেলেটি মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে। ওই ঘটনা কিছুতেই সে মন থেকে তাড়াতে পারছিল না। এ কারণে তিনি ও কাইলারের বাবা কাইলারকে বাড়িতে রেখেই স্কুল করার সিদ্ধান্ত নেন। এরপর থেকে থেকে কাইলার বাড়িতেই পড়াশোনা করেছে।কাইলারকে যে ছেলেটি আঘাত করেছিল পরবর্তীতে তাকে স্কুল থেকে বহিস্কার করা হয়। সেই সঙ্গে আদালত তাকে দোষী সাব্যস্ত করে এক বছরের শাস্তিও দেয়। কাইলারের মা জানান, জন্মগতভাবে তার ছেলের পায়ের সামনের অংশ মাটিকে স্পর্শ করতে পারে না। এ কারণে তার হাঁটাও স্বাভাবিক মনে হয় না। এটা নিয়েও তার সহপাঠীরা হাসাহাসি করতো। নিজের সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনার পরই কাইলারের মনে হয়, নিশ্চয়ই নতুন জুতা না পরার কারণে তার মতো অন্য অনেক স্কুল পড়ুয়াদের সঙ্গেও একই ঘটনা ঘটছে। কাইলার বলে, ‘ আমার স্কুলে ভালো জুতা পরা একটা বড় ব্যাপার ছিল। নামি ব্রাণ্ডের জুতা সবাই ব্যবহার করতো।’কাইলার জানান, আর কোনো শিশু যাতে জুতা নিয়ে স্কুলে লজ্জা বোধ না করে এ চিন্তা থেকে সে জুতা সংগ্রহ করার চিন্তা করে। এ চিন্তা থেকেই সে নিজেদের অ্যাপার্টমেন্টের সামনে একটা জুতা দানের বাক্স খুলে বসে। কেইলার কলোরাডো স্প্রিংসের বেশ কয়েকটি স্টোরের কাছ থেকে গ্রাহকদের নতুন এবং অল্প ব্যবহৃত জুতা সংগ্রহের জন্য বড় কার্ডবোর্ডের বাক্সগুলি রাখার অনুমতি পেয়েছিলেন।ওই বাক্সগুলির ওপরে ‘কেইলারস কিক’ লিখে সে দুস্থদের জন্য জুতা দানের আহবান জানিয়েছিল সবার প্রতি। এ কাজ শুরুর চার মাসের মধ্যে বহু মানুষ ‘কেইলারস কিকে’ জুতা দান করতে শুরু করেন। অনেকেই স্বল্প ব্যবহৃত , ব্যবহৃত জুতা দিতে থাকেন সেখানে। কেইলারের মা শেরিস নিপার জানান, স্থানীয় একটি ব্যবসায়িক সংস্থা মাসে একবার তাদের বাস ব্যবহারের সম্মতি দিয়েছিল যাতে তিনি এবং কাইলার আশেপাশের স্বল্প আয়ের পরিবারের কাছাকাছি যেতে পারেন। এতে করে ওইসব পরিবারের সদস্যরা তাদের পছন্দ মতো জুতা বাছাই করতে পারবেন তাদের সংগ্রহশালা থেকে। ২০১৭ সালের মার্চ মাসে অর্থনৈতিক সংকটে পড়ে কেইলারের পরিবার লাস ভেগাসে স্থায়ী হয়। নিজেদের আর্থিক সংকট থাকা সত্ত্বেও সেখানে গিয়ে কেইলার তার জুতা সংগ্রহ ও দানের কাজ থামায়নি। শিশু, অল্প বয়সী এবং গৃহহীনদের মধ্যে এ পর্যন্ত ২৫ হাজার জুতা জোড়া দান করেছে কেইলার। কেইলারের এ উদ্যোগে সাড়া দিয়ে অনেকেই এখন তার প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। মার্কিন পপ শিল্পী লেডি গাগার ‘বার্ন দ্য ওয়ে ফাউন্ডেশন’ এবং ‘জ্যাপসস ফর গুড’সহ অনেক কোম্পানিই এখন কেইলারের বাক্সে জুতা দান করছে।বার্ন দ্য ওয়ে ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক মায়া স্মিথ বলেন, ‘কেইলারের মতো তরুণদের কাজ দেখে খুব মুগ্ধ হই এবং গর্ব বোধ করি।’ তার ভাষায়, এমন দয়ালু তরুণই আগামী বিশ্ব গড়ার মূল চাবিকাঠি।যাদের ভালো জুতা কেনার সামর্থ্য নেই তাদের মুখে হাসি ফুটিয়ে দারুণ আনন্দ পান কেইলার। একদিনের ঘটনা স্মরণ করে কেইলার জানায়, একদিন রাস্তা দিয়ে হাঁটার সময় গৃহহীন একজন মানুষকে সে খালি পায়ে হাঁটতে দেখেছিল। লোকটির পায়ের আকৃতি আর নিজের পায়ের আকৃতি একই মনে হয়েছিল তার। তাৎক্ষণিকভাবে সে নিজের পায়ের জুতা খুলে লোকটিকে পরতে বলে। লোকটি খুশী হয়ে সেই জুতা জোড়া পরে চলে যায়। কেইলারও আনন্দিত হয়। কেইলার জানায়, ওটা তার জীবনের অন্যতম সেরা মুহূর্ত ছিল। সূত্র : এনডিটিভি | আন্তর্জাতিক, যুক্তরাষ্ট্র-কানাডা |
খুলনায় চাঁদাবাজির অভিযোগে ৭ পুলিশ সাময়িক বরখাস্ত | প্রকাশ: ০১ অক্টোবর ২০১৯ | ০৫:১০ | আপডেট: ০১ অক্টোবর ২০১৯ | ০৬:১৮ | চাঁদাবাজির অভিযোগে খুলনা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ৪ কর্মকর্তা ও ৩ কনস্টেবলসহ ৭ জনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় গত ৩০ সেপ্টেম্বর তাদের সাময়িক বরখাস্ত করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়।বরখাস্ত হওয়া কর্মকর্তারা হলেন- এস আই লুৎফর রহমান, এএসআই কে এম হাসানুজ্জামান, এএসআই শেখ সাইদুর রহমান, এএসআই গাজী সাজ্জাদুল ইসলাম। ৩ জন কনস্টেবল হলেন মো. কামরুজ্জামান বিশ্বাস, জামিউল হাসান ইমন ও জুয়েল শেখ।খুলনা জেলা পুলিশ সুপার এস এম শফিউল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার চুকনগর এলাকায় এক ব্যক্তির সঙ্গে আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ এসেছে তাদের বিরুদ্ধে। প্রাথমিক তদন্তে এর সত্যতা পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বিষয়টি অফিসিয়ালি তদন্তের জন্য নতুন করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের পর বিস্তারিত জানানো হবে। | খুলনা , গোয়েন্দা পুলিশ, চাঁদাবাজি, বরখাস্ত |
শয্যাসঙ্গী হওয়ার প্রস্তাব পেয়েছিলেন এলি! | প্রকাশ: ০১ অক্টোবর ২০১৯ | ০৫:২০ | আপডেট: ০১ অক্টোবর ২০১৯ | ০৫:২৩ | 'মিকি ভাইরাস', 'কিস কিসকো প্যার করু'-র মতো বেশ কয়েকটি সিনেমায় অভিনয় করে আলোচনায় আসেন বলিউড অভিনেত্রী এলি আব্রাহাম। এ ছাড়াও বিগ বসের ঘরেও দেখা গেছে তাকে।তবে সেভাবে নিজেকে মেলাতে পারেননি তিনি। এবার সম্প্রতি বলিউডে কাজ করার সময় নিজের সঙ্গে ঘটে যাওয়া তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করেন এলি বলে জিনিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়। বলিউডের এই অভিনেত্রী এবার মুখ খুললেন নিজের কাস্টিং কাউচের অভিজ্ঞতা নিয়ে । এলি বলেন, বলিউডে লড়াই করে টিকে থাকা বেশ কঠিণ। এখানে লড়াই না করলে নিজের পায়ের তলার মাটি কখনও শক্ত করা যায় না। বলিউডে যখন তিনি প্রথম আসেন, সেই সময় একটি পার্টিতে এক পরিচালকের সঙ্গে পরিচয় হয়। তিনি এলিকে শয্যাসঙ্গী হওয়ার প্রস্তাব দেন। শুধু তাই নয়, একটি সিনেমার জন্য স্বাক্ষর করার পর তিনি জানতে পারেন, সেখান থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে তাকে। কী কারণে ওই সিনেমা থেকে তাকে সরিয়ে দেওয়া হল? প্রথমে সেই প্রশ্নের উত্তর পাননি তিনি। পরে জানতে পারেন, ওই সিনেমার জন্য যাকে বেছে নেওয়া হয়েছে নায়ক হিসেবে, সেই অভিনেতা তাকে পছন্দ করেন না। অভিনেতা অপচ্ছন্দ করেন বলেই ওই সিনেমা থেকে তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানান এলি।পাশাপাশি তিনি এও জনান, বলিউডে কোনওদিন নিজের জায়গা শক্ত করতে পারবেন না, এমনও জানানো হয় তাকে। তার মতো বেটে এবং মোটা কারও অভিনেত্রী হওয়ার ইচ্ছে থাকা উচিত নয় বলেও এলিকে বিভিন্ন সময় কটাক্ষ করা হয় বলে জানান এই অভিনেত্রী। | এলি আব্রাহাম, বলিউড |
কলকাতায় গিয়ে জ্যোতির সিনেমা দেখলেন কবরী | প্রকাশ: ০১ অক্টোবর ২০১৯ | ০৫:২৬ | কলকাতায় মুক্তি পেয়েছে ঢাকার অভিনেত্রী জ্যোতিকা জ্যোতি অভিনীত সিনেমা ‘রাজলক্ষ্মী ও শ্রীকান্ত’। ভারতের নির্মাতা প্রদীপ্ত ভট্টাচার্যের পরিচালনায় এতে জ্যোতির বিপরীতে অভিনয় করেছেন ঋত্বিক চক্রবর্তী।জ্যোতির এই ছবিটিই কলকাতায় গিয়ে দেখলেন ঢাকাই ছবির মিষ্টিমেয়েখ্যাত অভিনেত্রী কবরী। ২৭ সেপ্টেম্ব পশ্চিমবঙ্গে মুক্তি পাওয়া ছবিটি ৩০ সেপ্টেম্বর কলকাতার সাউথ সিটি আইনক্সে দেখলেন কবরী। সঙ্গে ছবির নায়িজা জ্যোতিকা জ্যোতিও ছিলেন।ছবিটি দেখার পর ভীষণ প্রশংসাও করেছেন কবরী। সেটাই সমকাল অনলাইনকে জানালেন জ্যোতিকা জ্যোতি। তিনি বলেন, এটা আামর জন্য অবশ্যই বড় পাওয়া। যে কলকাতায কবরী আপা আমার ছবি হলে বসে দেখলেন। যদিও নিজের কিছু কাজে কলকাতায় এসেছেন কবরী আপা। নিজের কাজের ব্যষ্ততার ফাঁকে আমার ছবি দেখেছেন এটা আমার জন্য বড়ই সৌভাগ্যের। কবরী ছাড়াও ‘রাজলক্ষ্মী ও শ্রীকান্ত’ দেখেছেন দেশের আরেক জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘রাজলক্ষ্মী ও শ্রীকান্ত’র ছায়া অবলম্বনে নির্মিত ছবিটি এরইমধ্যে বেশ সাড়া ফেলেছে পশ্চিমবঙ্গে। প্রথম ছবি দিয়েই ওপার বাংলার দর্শকদের নজর কেড়েছেন বাংলাদেশের এই অভিনেত্রী। | জ্যোতিকা জ্যোতি, রাজলক্ষ্মী ও শ্রীকান্ত’, কবরী |
আইপিএলের নিলাম ডিসেম্বরে | প্রকাশ: ০১ অক্টোবর ২০১৯ | ০৫:৩৫ | আইপিএলের ২০২০ আসরের নিলাম বসবে চলতি বছরের ১৯ ডিসেম্বর। আইপিএলের নিলাম সাধারণত ব্যাঙ্গালুরুতে বসে। তবে আগামী আসরের নিলাম বসবে কলকাতায়। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে। সোমবার বিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে আইপিএলে অংশ নেওয়া আট দলকে এ ব্যাপারে অবহিত করা হয়েছে।এই বছরের নিলামটা হবে ছোট নিলাম। কারণ ২০২১ আসরের জন্য নতুন করে নিলাম হবে। প্রত্যেক দলই নতুন করে দল গড়বে ওই আসরের জন্য। দলগুলোকে তাই চার-পাঁচজন করে ক্রিকেটার রেখে বাকিদের ছেড়ে দিতে হবে। এর আগে ২০১৮ সালে আইপিএলের বড় নিলাম বসে। সেবার প্রত্যেক দল পাঁচজন করে পুরনো ক্রিকেটার রেখে দেওয়ার সুযোগ পায়।এছাড়া আসছে মৌসুমের জন্য ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো কোন ক্রিকেটারকে রাখবে, কাকে ছেড়ে দেবে সে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য ভরতীয় ক্রিকেট বোর্ড দলগুলোকে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত সময় বেধে দিয়েছে। এছাড়া আট দলের আগামী আসরে খরচের জন্য সর্বোচ্চ মোট ৮৫ কোটি রুপি নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।আইপিএলে আগামী আসরের জন্য দলগড়তে সবচেয়ে বড় বাজেট আছে দিল্লির হাতে। আর সবচেয়ে কম বাজেট আছে কোহলির ব্যাঙ্গালুরুর হাতে। দিল্লি ক্যাপিটালসের নতুন করে খেলোয়াড় কিনতে হাতে আছে ৮.২ কোটি রুপি। রাজস্থানের হাতে আছে ৭.১৫ রুপি, কলকাতা খরচা করতে পারবে ৬.০৫ রুপি। হায়দরাবাদের ব্যাগে আছে ৫.৩ কোটি রুপি। পাঞ্জাব ও সানরাইজার্স যথাক্রমে ৩.৭ ও ৩.২ কোটি রুপি খরচা করতে পারবে। চ্যাম্পিয়ন মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের ৩.০৫ এবং ব্যাঙ্গালুরুর হাতে আছে ১.৮ কোটি রুপি। | খেলা, ক্রিকেট, ভারত, আইপিএল |
লালপুরে ৩ হাজার পরিবার পানিবন্দি | প্রকাশ: ০১ অক্টোবর ২০১৯ | ০৫:৩৯ | ভারতের ফারাক্কা বাঁধের সব কয়টি লক গেট খুলে দেওয়ায় পদ্মা পাড়ের এলাকা নাটোরের লালপুরে পদ্মার পানি বিপদ সীমার ২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পদ্মা নদীর সব চরের ফসলি জমি তলিয়ে গেছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় ৩ হাজার পরিবার। এখনও নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। উপজেলার ৩টি ইউনিয়নের পদ্মার চরে বসবাসকারী সব মানুষকে সরিয়ে নিতে খুলে দেওয়া হয়েছে আশ্রয় কেন্দ্রগুলো।জানা গেছে, ফারাক্কা বাঁধের সব কয়টি লক গেট খুলে দেওয়ার কারণে সোমবার বিকেল থেকেই লালপুরের পদ্মা নদীতে পানি বাড়তে থাকে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকার কারণে ৩টি ইউনিয়নের ৫-৭টি চরের সমস্ত ফসল তলিয়ে গেছে। পানি ঢুকে পড়েছে বাড়ি-ঘরে। প্রতিদিনই নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত উপজেলা কৃষি বিভাগ ২২ হেক্টর জমিতে শীতকালীন সবজি নষ্ট হওয়ার তথ্য সংগ্রহ করেছে।নর্থ বেঙ্গল সুগার মিল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আগামী ৮ নভেম্বর সুগার মিলটি চিনি উৎপাদনে যাবে। এই মিলের বেশির ভাগ আখের চাহিদা মেটানো হয় পদ্মার চর থেকে। কিন্তু মিল শুরুর আগ মুহূর্তে চরে থাকা ৪২ একর জমির আখ তলিয়ে গেছে। এতে করে চিনি উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।লালপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মুল বানীন দ্যুতি বলেন, পদ্মা নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। বিলমাড়ীয়া, লালপুর এবং ঈশ্বরদী এই তিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আমরা জেলা ত্রাণ ও দুর্যোগ অধিদপ্তরের কাছে ত্রান চেয়ে চিঠি দিয়েছি।তিনি আরও বলেন, ৫-৭টি চরে বসবাসকারী মানুষরা অন্যত্র সরে গেছে। কেউ কেউ চরের মধ্যেই অবস্থান করছে। আমরা তিনটি ইউনিয়নে আশ্রয় কেন্দ্র খুলেছি, সেখানে তাদের সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।উত্তরাঞ্চলীয় পানি পরিমাপ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী কেএম জহুরুল হক বলেন, মঙ্গলবার দুপুর ১২টা থেকে পদ্মার পাকশী পয়েন্টে পানি বিপদ সীমার ২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। | নাটোর, লালপুর, পদ্মা নদী, বন্যা |
আজ চ্যানেল আইয়ের জন্মদিন | প্রকাশ: ০১ অক্টোবর ২০১৯ | ০৫:৪৫ | আপডেট: ০১ অক্টোবর ২০১৯ | ০৫:৪৬ | ‘হৃদয়ে বাংলাদেশ, প্রবাসেও বাংলাদেশ’ এই স্লোগানকে বুকে ধরে পথ চলছে দেশের অন্যতম জনপ্রিয় স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেল আই। আজ (১ অক্টোবর) ২১ বছরে পা রেখেছে চ্যানেলটি। বিশেষ এই দিনটি তাই বিশেষ আয়োজনে পালন করা হচ্ছে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে চ্যানেল আই প্রাঙ্গণে।বেলা সোয়া ১১টা থেকে শুরু হয় জন্মদিনের অনুষ্ঠান। চ্যানেলটির চেতনা চত্বরে বেলুন উড়িয়ে উৎসবের উদ্বোধন করেন চ্যানেল আইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর, পরিচালক ও বার্তাপ্রধান শাইখ সিরাজ, চ্যানেল আইয়ের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বসহ দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ।জন্মদিন উপলক্ষে কেক কাটা হয় এ সময়। জন্মদিনের এ আয়োজনে চ্যানেল আইয়ের কর্ণধার ফরিদুর রেজা সাগর বলেন, ‘চ্যানেল আই আপনাদের মতো করে, আপনাদের রুচি অনুযায়ী সামনে এগিয়ে যাবে।’ আর শাইখ সিরাজ বলেন, ‘চ্যানেল আই যখন শুরু হয়েছিল, তখন দেশ যে জায়গায় ছিল, নিঃসন্দেহে সেখান থেকে অনেক এগিয়েছে। এই উন্নয়নের পেছনে যদি গণমাধ্যমের ভূমিকা থাকে, তাহলে নিঃসন্দেহে চ্যানেল আইয়েরও ভূমিকা আছে। আমরা মনে করি লাল–সবুজের শক্তি নিয়ে চ্যানেল আই অনেক দূর এগিয়ে যাবে।’ | চ্যানেল আই, ২১ শে পা |
সকালের নাস্তায় যেসব খাবার খাওয়া ঠিক নয় | প্রকাশ: ০১ অক্টোবর ২০১৯ | ০৫:৪৬ | আপডেট: ০১ অক্টোবর ২০১৯ | ০৫:৫১ | সুস্থ থাকতে সকালের নাস্তা খাওয়া খুবই জরুরি। তবে পুষ্টিবিদদের মতে, নাস্তায় কি খাচ্ছেন সেটা আরও জরুরি। কারণ, ওজন কমানোর জন্য অনেকে সকালের নাস্তায় কম খান। আবার কেউ কেউ এক সঙ্গে অনেক কিছু খেয়ে ফেলেন । এ দুটি অভ্যাসের কোনোটাই ঠিক নয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, সকালে হালকা নাস্তা করতে গিয়ে অনেকে এমন কিছু ভুল করেন যেগুলি ওজন কমানোর বদলে বাড়িয়ে দেয়। যেমন-১. অনেকেই এক কাপ কফি খেয়ে সকালটা শুরু করেন।খালি পেটে কফি খাওয়া একেবারেই উচিত নয়। এতে অ্যাসিডিটির সমস্যা হতে পারে। অ্যাসিডিটির সমস্যায় একাধিক শারীরিক সমস্যা বা মানসিক উদ্বেগ বাড়িয়ে দিতে পারে। সেই সঙ্গে ওজনও বেড়ে যায়।২. সকালে কাজে বের হওয়ার আগে অনেকেই এক গ্লাস জুস খেয়ে নেন। খালি পেটে ফলের রস খেলে শরীরে শর্করার মাত্রা অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যেতে পারে। তাছাড়া অ্যাসিডিটির সমস্যাও বাড়তে বাড়ে। এতে ওজন বাড়ার ঝুঁকিও দেখা দেয়।৩. ওজন কমানোর আশায় অনেকেই এক কাপ টক দই খেয়ে সকালের নাস্তা সারেন। এতে শরীর তার প্রয়োজনীয় পুষ্টি থেকে বঞ্চিত হয়।৪. কৃত্রিম চিনি বা মিষ্টিযুক্ত খাবার, প্রক্রিয়াজাত মাংস সকালে না খাওয়াই ভাল। এসব খাবার শরীরে অতিরিক্ত মেদ সৃষ্টি করে। সেই সঙ্গে রক্তে কোলেস্টেরল বাড়িয়ে হৃদরোগের ঝুঁকি বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়। সূত্র : বোল্ড স্কাই | জীবনশৈলী, খাবার |
তারকা হলেই শিল্পী হওয়া যায় না: আল মনসুর | প্রকাশ: ০১ অক্টোবর ২০১৯ | ০৫:৫৪ | আল মনসুর। অভিনেতা, নাট্যকার ও নির্দেশক। এনটিভিতে প্রচার হচ্ছে তার অভিনীত ধারাবাহিক নাটক 'সোনার খাঁচা'। এ নাটক ও অন্যান্য প্রসঙ্গে কথা হলো তার সঙ্গে-বেশ কিছুদিন ধরেই 'সোনার খাঁচা' প্রচার হচ্ছে। নাটকটি নিয়ে দর্শক প্রতিক্রিয়া জানার সুযোগ হয়েছে?অনেকেই নাটকটি ভালো লেগেছে বলে জানিয়েছেন। গল্পের ভিন্নতার কারণেই এটি সম্ভব হয়েছে। এর জন্য অবশ্য সবার আগে নির্মাতা সাগর জাহানকে ধনব্যাদ দিতে হয়। কারণ তিনি গল্পকে যথাযথভাবে পর্দায় ফুটিয়ে তুলতে পেরেছেন। সত্যি বলতে ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি থেকেই প্রত্যেক পরিচালক চান ব্যতিক্রমী কিছু নির্মাণ করতে। কিন্তু গল্প, চিত্রনাট্য, নির্মাণশৈলী ও অভিনয়শিল্পীর একাত্মবোধ যদি না ঘটে তাহলে ভালো নাটক নির্মাণ করা কখনোই সম্ভব নয়। নাটকের রচয়িতা বৃন্দাবন দাসও ব্যতিক্রমী একটি গল্প উপহার দিতে পেরেছেন বলে মনে করি। নাটকের সঙ্গে যুক্ত প্রত্যেক অভিনয়শিল্পী চেষ্টা করেছেন নিজের সর্বোচ্চটা দিতে।গল্পের প্রেক্ষাপট কী নিয়ে?এটি কমেডি ঘরানার নাটক। তবে আজকাল যেসব কমেডি নাটক নির্মিত হয় তার থেকে অবশ্যই বেশ আলাদা। কারণ বৃন্দাবন দাস প্রতিটি গল্পেই স্বকীয়তা ধরে রাখার চেষ্টা করেন। এ নাটকেও তার ব্যত্যয় ঘটেনি। গল্পের দিকে তাকালে দেখা যায়, তৃণমূলের সবচেয়ে প্রাচীন সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের নাম ইউনিয়ন পরিষদ। মানুষ যে কোনো প্রয়োজনে তাদের আশ্রয়স্থল ভাবে এই পরিষদকে। প্রতিবার নির্বাচন আসে, মানুষ স্বপ্ন দেখে, তাদের ভাগ্যের পরিবর্তন হবে। অনেক স্বপ্ন নিয়ে জনসাধারণ পরিষদে নেতা নির্বাচিত করে। কিন্তু পরিষদের চেয়ারে বসে সবাই যেন বদলে যায়। অধরাই থেকে যায় মানুষের স্বপ্ন। তাই অনেকে পরিষদের ওই ভবনটিকে সোনার খাঁচা বলে সম্ব্বোধন করে। তাদের সব স্বপ্ন যেন সোনার খাঁচায় বন্দি। কিন্তু কেউ সে খাঁচা ভাঙতে পারে না।বর্তমানে কমেডি নাটক আসলে দর্শককে কতটা বিনোদিত করতে পারছে?সত্যি বলতে, তেমন একটা নয়। কারণ ১০টির মধ্যে আটটি কমেডি নাটকই মানসম্মত নয়। এর মধ্যেও কিছু নির্মাতা ও রচয়িতা ভালো কাজ করে যাচ্ছেন। তবে ভিন্ন ঘরানার গল্পেও এখন অনেক নাটক হচ্ছে। এটি অবশ্যই ইতিবাচক দিক।মিডিয়ার সার্বিক পরিস্থিতি কেমন মনে হচ্ছে?আমাদের দেশে এখন অনেক নাটক তৈরি হচ্ছে। খুব ভালো নাটক লিখতে পারে এমন নাট্যকার যেমন আছেন, তেমনই ভালো নির্মাতাও আছেন। আমাদের নাটক বৈচিত্র্যপূর্ণ, আধুনিক ও শিক্ষণীয়। কিন্তু দুঃখের বিষয়, নানা কারণে নাটক ইন্ডাস্ট্রিতে অস্থিরতা বিরাজ করছে। এর মধ্যে বাজেট স্বল্পতা অন্যতম। এত কম বাজেটে ভালো নাটক হওয়া বিস্ময়কর। এসব সমস্যা দূর হলে নাটক ইন্ডাস্ট্রির পরিবেশ আরও ভালো হবে।নাট্যকার, নির্দেশনা ও অভিনয়ের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে যুক্ত আছেন। নির্দিষ্ট কোনো মাধ্যমের প্রতি বিশেষ ভালো লাগা আছে কি?সেভাবে কোনোদিন ভেবে দেখিনি। যখন যে কাজ করি সেটিতেই নিজের সর্বোচ্চ দেওয়ার চেষ্টা করি। আমার মনে হয়, সবার ক্ষেত্রে সেটিই হওয়া উচিত। শিল্পী হতে চাইলে যে কোনো কাজে মগ্ন থাকা প্রয়োজন।তরুণ প্রজন্মকে নিয়ে আপনার মূল্যায়ন কী?বর্তমান প্রজন্মের নতুন কিছু করে দেখানোর চেষ্টা আছে। এটি অব্যশই ইতিবাচক বিষয়। তবে এখনকার প্রজন্ম অনেক বেশি অনলাইননির্ভর। এতে দোষের কিছু দেখি না। তবে অনলাইনের মাধ্যমে রাতারাতি তারকা বনে যাওয়ার প্রবণতা কারও কারও দেখেছি। এটি আমাকে ব্যথিত করেছে। সত্যি বলতে, তারকা হলেই শিল্পী হওয়া যায় না। | আল মনসুর, সাক্ষাৎকার, বিনোদন |
চোরাই মোবাইলের মামা-ভাগিনা সিন্ডিকেট | প্রকাশ: ০১ অক্টোবর ২০১৯ | ০৫:৫৮ | চট্টগ্রাম নগরের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার রিয়াজউদ্দিন বাজারের মোবাইলের দোকানদার তারা। কিন্তু অন্য দোকানির মতো মোবাইল কোম্পানির অনুমোদিত ডিলারদের কাছ থেকে তারা মোবাইল কিনে বিক্রি করেন না। তাদের দোকানে বিক্রি হওয়া মোবাইল সরবরাহ করে চোর, পকেটমার ও ছিনতাইকারীরা। বেশি লাভের আশায় কমদামে অপরাধীদের কাছ থেকে এসব মোবাইল কিনে নিয়ে বেশি দামে বিক্রি করেন তারা। এক ছিনতাইকারীর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার রাতে নগরের রিয়াজউদ্দিন বাজার থেকে তিন দোকানিসহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে ১৬০টি চোরাই মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে।গ্রেফতার চারজন হলেন-রিয়াজউদ্দিন বাজার সিডিএ হকার মার্কেটের নিচতলার আলিফ ইলেক্ট্রনিক্সের মালিক দোস্ত মোহাম্মদ মানিক, ইসলাম মার্কেটের এন কে মোবাইলের মালিক মো. খলিলুর রহমান, চোরাই মোবাইল বিক্রেতা কুমিল্লা জেলার হোমনা থানার ফজরকান্দি গ্রামের মো. সোহেল রানা ও মক্কা টাওয়ারের মাদার টাচের মালিক খোরশেদ আলম পালিয়ে যাওয়ায় দোকান কর্মচারী সাহেদুল ইসলাম। তাদের মধ্যে মানিক ও খোরশেদ আলম সম্পর্কে মামা-ভাগিনা। এই দুইজন রিয়াজউদ্দিন বাজারের চোরাই মোবাইল সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রক বলে জানিয়েছে পুলিশ।কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মহসীন সমকালকে বলেন, গত রোববার রাতে যুবলীগ পরিচয়ে ছিনতাই চক্রের চার সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। এই চক্রের মূলহোতা নজরুল ইসলাম জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে, মানুষের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া মোবাইলগুলো রিয়াজউদ্দিন বাজারের বিভিন্ন দোকানে বিক্রি করতেন তিনি। সোমবার রাতে তাকে নিয়ে রিয়াজউদ্দিন বাজারে অভিযান চালানো হয়। তার দেখিয়ে দেওয়া দোকানে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমান চোরাই মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে। যার কোনো বৈধ কাগজপত্র দোকান মালিকরা দেখাতে পারেননি। চোরাই মোবাইল ক্রেতা দোকান মালিকদের গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারাও স্বীকার করেছেন বেশি লাভের আশায় চোরাই মোবাইল কিনে বিক্রি করেন তারা।কোতোয়ালী থানার পরিদর্শক মো. কামরুজ্জামান সমকালকে বলেন, ‘রিয়াজউদ্দিন বাজারে চোরাই মোবাইল সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রক ছিলেন জাহিদুল ইসলাম আলো। তার ঘনিষ্ট সহযোগী ছিলেন দোস্ত মোহাম্মদ মানিক ও খোরশেদ আলম। আলো র্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হলে চোরাই মোবাইল সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণ নেয় মানিক ও তার ভাগিনা খোরশেদ। তাদের নিয়ন্ত্রণে রিয়াজউদ্দিন বাজারে পকেটমার, ছিনতাইকারী ও চোরদের কাছ থেকে কিনে নেওয়া মোবাইল কেনাবেচা হয়।’পুলিশ সূত্র জানায়, যুবলীগ পরিচয়ে ছিনতাই চক্রের হোতা নজরুল ইসলাম পুলিশকে জানান, মানুষের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া মোবাইল বিক্রি করতেন আলিফ ইলেক্ট্রনিক্স, মাদার টাচ ও এনকে মোবাইল নামের দোকানে। পরে তাকে নিয়ে আলিফ ইলেক্ট্রনিক্সে অভিযান চালিয়ে ৭৩টি চোরাই মোবাইল উদ্ধার করা হয়। এসব মোবাইলের কোনো কাগজপত্র দেখাতে না পারায় মালিক দোস্ত মোহাম্মদ মানিককে গ্রেফতার করা হয়। এরপর এনকে মোবাইল নামের দোকানে অভিযান চালিয়ে ৬৫টি চোরাই মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে মালিক খলিলুর রহমানকে। মাদার টাচ নামের মোবাইল বিক্রির দোকানে অভিযান চালিয়ে ২২টি চোরাই মোবাইল উদ্ধার করা হয়। দোকানটির মালিক খোরশেদ আলম পালিয়ে যাওয়ায় কর্মচারী সাহেদুল ইসলামকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে খলিলুর রহমান স্বীকার করেছেন উদ্ধার হওয়া মোবাইলের মধ্যে কিছু মোবাইল সোহেল রানা নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে কিনেছেন। পরে নগরের কোতোয়ালী থানার পাথরঘাটা মিরিন্ডা লেইনের এসডিসি টাওয়ারে অভিযান চালিয়ে সোহেল রানাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। | চট্টগ্রাম, মোবাইল |
স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া করে বিষপানে বৃদ্ধের আত্মহত্যা | প্রকাশ: ০১ অক্টোবর ২০১৯ | ০৬:০৮ | ঝালকাঠির রাজাপুরের শুক্তাগড় ইউনিয়নের শুক্তাগড় গ্রামে স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া করে আব্দুস সাত্তার হাওলাদার (৬৫) নামে এক বৃদ্ধ বিষপান করে আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে পুলিশ ওই গ্রামে নিজ বাড়ি থেকে বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার করে। কৃষক সাত্তার শুক্তাগড় গ্রামের মৃত নিজাম উদ্দিন হাওলাদারের ছেলে। সাত্তারের বড় ভাই জুলফিকার হাওলাদার জানান, পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া করে গত ২৭ সেপ্টেম্বর বিষপান করেন সাত্তার। এ সময় তাকে রাজাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়। কিন্তু সোমবার সকালে অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসক তাকে বরিশাল নেওয়ার পরামর্শ দেন। এ সময় আর্থিক সঙ্কটের কারণে তাকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সোমবার গভীর রাতে তার মৃত্যু হয়। রাজাপুর থানার ওসি মো. জাহিদ হোসেন জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঝালকাঠি মর্গে পাঠানো হয়েছে এবং থানায় অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে। | ঝালকাঠি, আত্মহত্যা |
কাজে ফিরছেন 'বলিউড বাদশাহ' | প্রকাশ: ০১ অক্টোবর ২০১৯ | ০৬:১৪ | আপডেট: ০১ অক্টোবর ২০১৯ | ০৭:০৩ | ২০১৮ সালে ‘জিরো’ ছবির পর থেকে আর কোনও ছবি মুক্তি পায়নি বলিউড তারকা শাহরুখ খানের। এতদিন হাতে ছবি না থাকার কারণ হিসেবে তিনি যুক্তি দেখিয়েছিলেন, অভিনয় থেকে আপাতত দূরে রয়েছেন। তবে সমালোচকরা বলছিলেন, হাতে ছবি নেই শাহরুখের, তাই এমন কথা বলছেন তিনি। অবশেষে সেই খরা এবার কাটল। অনুরাগ কাশ্যপের পরবর্তী ছবিতে দেখা যেতে পারে 'বলিউড বাদশাহকে' বলে বলিউড হাঙ্গামার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। বাতাসে গুঞ্জন, প্রযোজক নিখিল দ্বিবেদী নাকি কোয়েন্টিন ট্যারেন্টিনোর ‘কিল বিল’ ছবির স্বত্ব কিনেছেন। সেই ছবিতেই নাকি দেখা যাবে শাহরুখ খানকে। ছবিটি পরিচালনা করার কথা রয়েছে অনুরাগ কাশ্যপের। সূত্রের খবর, এ বছরের শুরুর দিকে স্বত্ব কেনেন নিখিল। এবার তিনি ছবির কাজ পুরদস্তুর শুরু করে দিতে চান।এতে ছবির অন্যতম প্রধান চরিত্র বিলের ভূমিকায় অভিনয় করতে দেখা যাবে শাহরুখ খানকে। যদিও অভিনেতা এ বিষয়ে এখনও কিছু জানাননি। শোনা যাচ্ছে, অনুরাগের সঙ্গে কথাবার্তা প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। তাই এনিয়ে এখনও চূড়ান্ত কোনও তথ্য প্রকাশ করা হয়নি। | শাহরুখ খান, বিনোদন |
বঙ্গবন্ধু বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলন স্থগিত, শিক্ষার্থীদের আনন্দ মিছিল | প্রকাশ: ০১ অক্টোবর ২০১৯ | ০৬:২৭ | গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি পতনের আন্দোলন স্থগিত ঘোষণা করেছে শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টায় ক্যাম্পাসের জয় বাংলা চত্বরে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা সংবাদ সম্মেলন করে এ ষোষণা দেন। শিক্ষার্থীরা জানায়, সোমবার বিকালে শিক্ষামন্ত্রণালয়ে ভিসি অধ্যাপক ড. খোন্দকার নাসির উদ্দিন পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। তাই আপাতত আন্দোলন স্থগিত করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারির পরে আন্দোলন প্রত্যাহার করা হবে।সংবাদ সম্মেলনে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী মোঃ আল গালিব। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষার্থী কল্যান মিত্র, প্রিয়তা দে, রেহনুমা তাবাসসুম ঐশি, শরীফ আল রাজু, শিকদার মাহবুবসহ আরও অনেকে।সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শিক্ষামন্ত্রণালয়, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ায় সাধারণ শিক্ষার্থীরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে। পাশাপাশি আন্দোলনে সহযোগিতার জন্য গণমাধ্যম, গোপালগঞ্জের গোবরা ইউনিয়নবাসীসহ দেশবাসীকে ধন্যবাদ জানায়। সেই সঙ্গে শিক্ষার্থীরা দুর্নীতি দমন কমিশনকে বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদ্যমান সকল দুর্নীতি, অনিয়ম ও অবিচারের নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট সকল দোষীদের বিচারের আওতায় আনার আহবান জানিয়েছে। তারা আশা করে এভাবেই বঙ্গবন্ধুর নামে প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা-গবেষণার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরে আসবে।সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা প্রশাসন ও যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে আন্দোলনে বিরোধীতাকারী গোষ্ঠী ও পদত্যাগী ভিসির দোসররা কোনভাবেই যেন কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ওপর নাশকতা বা হামলার পরিকল্পনা করতে না পারে সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে। সেই সঙ্গে পদত্যাগী ভিসির মাধ্যমে শিক্ষার এবং অবকাঠামোগত যে ক্ষতি ও ধ্বংস সাধন হয়েছে সেসব পূরণের জন্য শিক্ষার্থীরা কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। শিক্ষার্থীরা আশা করে এসব প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টি দেশের একটি শীর্ষ বিদ্যাপীঠে পরিণত হবে।এদিকে ভিসি নাসির পদত্যাগ করায় সকাল থেকেই শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে এসে গান বাজিয়ে, নেচে-গেয়ে, একে অপরের মুখে রং মাখিয়ে আনন্দ প্রকাশ করে। পরে শিক্ষার্থীরা সকাল সাড়ে ১১টায় ক্যাম্পাসে আনন্দ মিছিল বের করে। মিছিলটি পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে জয়বাংলা চত্বরে এসে শেষ হয়।শিক্ষার্থী লোকমান হোসেন বলেন, আমরা আজ ১২ হাজার শিক্ষার্থী আনন্দে উদ্বেলিত। স্বৈরাচারী ভিসির পতনের মধ্যে দিয়ে আমরা মুক্তি পেয়েছি। এখন ক্যাম্পাসে শিক্ষা ও গবেষণার পরিবেশ ফিরে আসবে। রেহনুমা তাবাসসুম ঐশি নামে আরেক শিক্ষার্থী বলেন, টানা ১২ দিনের আন্দোলন সফল হয়েছে। আমরা এখন মুক্তমনে পড়াশোনা করতে পারব। মুক্তচিন্তার বহিঃপ্রকাশ ঘটাতে পারব। কথায় কথায় আমাদের বহিষ্কার, নির্যাতন বন্ধ হবে। এখানে একজন সৎ, যোগ্য ও নিষ্ঠাবান ভিসি নিয়োগ দেয়া হবে বলে আমরা প্রত্যাশা করছি।শিক্ষার্থী প্রিয়তা দে বলেন, জাতির পিতার নামের এ বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরা শিক্ষায় মনোযোগ দিয়ে ভাল ফলাফল করে জাতির মুখ উজ্জ্বল করতে চাই। এ বিশ্ববিদ্যালয়কে আমরা দেশের সেরা বিদ্যাপীঠ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চাই।বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কাজী মসিউর রহমান বলেন, এখন বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রয়েছে। আশা করি পূজার ছুটির পর এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পড়াশোনায় মনোযোগ দেবে। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সম্প্রীতির বন্ধন আরও সুদৃঢ় হবে। এখানে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বিরাজ করবে। উল্লেখ্য, গত ১১ সেপ্টেমর আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাতেমা-তুজ জিনিয়াকে অন্যায়ভাবে বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এনিয়ে ফেসবুকে সমালোচনার ঝড় ওঠে। ১৮ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জিনিয়ার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে নেয়। পরে ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে শিক্ষার্থীরা অনিময়ন, দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা ও নৈতিক স্খলনের অভিযোগে এনে ভিসির পদত্যাগের দাবিতে টানা আন্দোলন শুরু করে। ২১ সেপ্টেম্বর আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর ভিসির সমর্থকরা হামলা করলে ২০ শিক্ষার্থী আহত হয়। এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন গঠিত তদন্ত কমিটি রোববার ভিসিকে প্রত্যাহারের সুপারিশ করে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। অবশেষে শিক্ষার্থীদের ১২ দিনের অনড় আন্দোলনের মুখে সোমবার বিকেলে ভিসি পদত্যাগ করেন। | বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, গোপালগঞ্জ, ভিসি |
ইরাকে ওয়ালটন পণ্যের রপ্তানি শুরু | প্রকাশ: ০১ অক্টোবর ২০১৯ | ০৬:৩৬ | রপ্তানি বাণিজ্যে ব্যাপক সাফল্য দেখাচ্ছে ওয়ালটন। প্রযুক্তিপণ্য রপ্তানিতে একের পর এক জয় করে চলেছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ পণ্য দিয়ে বিশ্ববাসীর মন জয় করে নিচ্ছে তারা। এরই ধারাবাহিকতায় এবার উচ্চমানের কম্প্রেসর রপ্তানির মাধ্যমে ইরাকে ব্যবসা শুরু করলো ওয়ালটন। পর্যায়ক্রমে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে রেফ্রিজারেটরসহ অন্যান্য প্রযুক্তিপণ্য রপ্তানি করবে বাংলাদেশের ইলেকট্রনিক্স জায়ান্ট ওয়ালটন।মঙ্গলবার গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন কারখানা কমপ্লেক্সে আনুষ্ঠানিকভাবে ইরাকে কম্প্রেসর রপ্তানি কার্যক্রম উদ্বোধন করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইরাকি দূতাবাসের চার্জেস দ্য অ্যাফেয়ারস মোহানাদ আল দারজি।এ সময় উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম আশরাফুল আলম এবং পরিচালক এস এম রেজাউল আলম।অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটনের চিফ টেকনিক্যাল অফিসার ই এম ইয়াং, ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ইউনিট (আইবিইউ) প্রেসিডেন্ট এডওয়ার্ড কিম, ওয়ালটন রেফ্রিজারেটরের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) গোলাম মুর্শেদ, এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর হুমায়ুন কবীর, উদয় হাকিম ও ইউসুফ আলী, ওয়ালটন কম্প্রেসরের সিওও প্রকৌশলী মীর মুজাহিদীন ইসলাম, ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ফিরোজ আলম ও শাহজাদা সেলিম, মিডিয়া উপদেষ্টা এনায়েত ফেরদৌস, সিনিয়র অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর আব্দুর রউফ ও মোহসিন আলী মোল্লাসহ প্রতিষ্ঠানটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।মাহানাদ আল দারজি বলেন, 'ওয়ালটন কারখানা দেখে আমি খুবই আনন্দিত। ওয়ালটনকে নিয়ে প্রত্যেক বাংলাদেশির গর্ব করা উচিত। ওয়ালটন কম্প্রেসর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে ইরাকে পণ্য রপ্তানি শুরু হলো। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ এবং ইরাকের মধ্যকার পারস্পরিক ব্যবসায়িক সম্পর্কে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হলো।'উল্লেখ্য, বিশ্বের প্রায় ৩৫ টি দেশে রপ্তানি হচ্ছে ওয়ালটন পণ্য। ইরাকে ওয়ালটন পণ্য রপ্তানিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্জন বলে উল্লেখ করে ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম আশরাফুল আলম বলেন, অত্যাধুনিক উৎপাদন ব্যবস্থা, উচ্চমানের পণ্য, সাশ্রয়ী মূল্য, উদ্ভাবনী ও ফলপ্রসূ বিপণন কৌশল এবং দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা দিয়ে দেশের বাজারে শীর্ষে ওয়ালটন। এখন ওয়ালটনের টার্গেট- ইউরোপ, আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়ার মতো উন্নত বিশ্বে বাজার সম্প্রসারণ।ওয়ালটনের আন্তর্জাতিক বিপণন বিভাগের প্রেসিডেন্ট এডওয়ার্ড কিম বলেন, বৈশ্বিক বাজার সম্প্রসারণের ওপর তারা বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছেন। উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকা, মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা, রাশিয়া এবং ইউরোপের দেশগুলোতে ওয়ালটন পণ্যের বাজার সম্প্রসারণে ব্যাপকভাবে কাজ চলছে। পর্যায়ক্রমে বিশ্বের বিভিন্ন খ্যাতনামা ব্র্যান্ডের কাছ থেকে রপ্তানি আদেশ পেতে যাচ্ছে ওয়ালটন। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি | ওয়ালটন |
কুষ্টিয়ায় বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি | প্রকাশ: ০১ অক্টোবর ২০১৯ | ০৬:৫০ | কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে পদ্মার পানি আরও বেড়ে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। নিরবচ্ছিন্নভাবে পানি বৃদ্ধির এ ধারা অব্যাহত থাকায় নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। ইতোমধ্যে দেড় হাজারের বেশি পরিবারের বাড়ি ঘরে পানি ঢুকে পড়েছে। সর্বশেষ পরিস্থিতি অনুযায়ী, উপজেলার চিলমারী ও রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের ৩৮ গ্রামের ১০ হাজার পরিবারের প্রায় ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছেন। তলিয়ে গেছে প্রায় দুই হাজার হেক্টর জমির ফসল। সোমবার বিকেলে ফিলিপনগর ও মরিচা ইউনিয়নের কয়েকটি স্থানে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ পেরিয়ে পানি ঢুকে পড়েছে। স্থানীয়রা বালির বস্তা দিয়ে পানি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছেন। স্থানীয়দের আশঙ্কা, পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে বুধবার অথবা বৃহস্পতিবারের মধ্যে উপজেলার অর্ধেক অঞ্চল পানির নিচে তলিয়ে যাবে। পরিস্থিতি মোকাবেলায় ওই এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর শ্রেণিকক্ষগুলো খোলা রাখা হয়েছে। ভারতে উত্তরপ্রদেশ ও বিহারে রেকর্ড বৃষ্টিতে উপচে পড়ছে বাঁধের জল। ফলে ফারাক্কা বাঁধের সব কয়টি লকগেট এক সঙ্গে খুলে দিয়েছে ভারত। সোমবার ফারাক্কা বাঁধের ১১৯টি লকগেট খুলে দেয়ায় দ্রুত পানি বাড়ছে পদ্মায়। এতে কুষ্টিয়ার চরাঞ্চল প্লাবিত করে লোকালয়ের দিকে ধেয়ে আসছে পানি। একইসঙ্গে গত তিনদিনের টানা বর্ষণের বন্যা দুর্গত মানুষের সীমাহীন কষ্টের মাত্রা আরও বাড়িয়েছে।কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, ১৬ বছর পর বিপদসীমা অতিক্রম করে পদ্মার পনি বিপদসীমার পয়েন্ট ৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছে। পদ্মা নদীতে পানির বিপদসীমা হচ্ছে ১৪ দশমিক ২৫ সেন্টিমিটার। সেখানে মঙ্গলবার বিকেলে হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে পদ্মার পানি প্রবাহিত হচ্ছে ১৪ দশমিক ২৮ সেন্টিমিটার। সোমবার পানির মাত্রা ছিল ১৪ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার। রোববার ছিল ১৩ দশমিক ৯৯ সেন্টিমিটার। গড়ে প্রতি দিন ১০ থেকে ১২ সেন্টিমিটার করে পানি বাড়ছে। সর্বশেষ পদ্মার পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এর প্রধান শাখা গড়াই নদেও অব্যহতভাবে পানি বাড়ছে। মঙ্গলবার বিকেল ৫টার দিকে গড়াইয়ের পানি প্রবাহিত হচ্ছে ১২ দশমিক ৩৮ সেন্টিমিটার। গড়াই নদীর বিপদসীমা হচ্ছে ১২ দশমিক ৭৫ সেন্টিমিটার। বিপদসীমা থেকে মাত্র পয়েন্ট ৩২ সেন্টিমিটার দূরে। পদ্মার পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এর প্রধান শাখা গড়াই নদেও অব্যহতভাবে পানি বাড়ছে। গড়াইয়ে পানি বাড়ায় জিকে ঘাট ছাড়াও বড় বাজার এলাকার বেড়িবাঁধের পাশে বেশ কিছু ঘরবাড়িতে পানি ঢুকে পড়েছে। অনেকে বাড়িঘর ছেড়ে উঁচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন। পানি বাড়তে থাকলে কুষ্টিয়া রক্ষা বাঁধসহ অন্যান্য স্থাপনা ঝুঁকিতে পড়তে পারে বলে পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে। ভাঙন ঠেকাতে দ্রুত জিও ব্যাগ ফেলার প্রস্তুত নিচ্ছেন তারা।পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী পীযুষ কৃষ্ণ কুন্ডু বলেন, পানি এই মুহূর্তে বিপদসীমার কয়েক সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে দৌলতপুর উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নের পর ভেড়ামারা উপজেলার মোসলেমপুরে পানি ঢুকছে। এছাড়া কুষ্টিয়া শহর, কুমারখালী ও খোকসার কিছু এলাকায় পানি প্রবেশ করে ক্ষয়ক্ষতি বাড়তে পারে। আমাদের টিমের সদস্যরা সর্বক্ষনিক মনিটরিং করছে।সরোজমিনে বন্যাকবলিত এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, চারিদিকে শুধু পানি আর পানি। আকস্মিক বন্যায় মাঠের ফসলের সঙ্গে সঙ্গে মাথা গোঁজার ঠাঁই টুকুতেও পানি ঢুকে পড়েছে। বাড়ির উঠান ও ঘরের মধ্যে পানি ঢুকে পড়ায় বাড়িতে বাস করা দুরূহ হয়ে পড়েছে। জীবন বাঁচানোর তাগিদে ঘরের ভেতরে বাঁশের মাচা ও নৌকার ওপর অনেককে বসে থাকতে দেখা গেছে। অনেকের বাড়িতে রান্না করার জায়গাটুকুও ফাকা নেই। পানি বেড়ে লোকালয়ে ঢুকে পড়েছে। দুইদিন আগেও যেসব এলাকা শুকনা ছিল। এখন সেখানে পদ্মার পানিতে থৈই থৈই করছে। যেদিকে চোখ পড়ে শুধু পানি আর পানি। চলার রাস্তা ঘাট সব জায়গায় পানি। চিলমারী ও রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের ৩৮ গ্রামের প্রায় ১০ হাজার মানুষের বের হওয়ার কোন উপায় নাই। নৌকাই তাদের চলার একমাত্র অবলম্বন। টানা বৃষ্টির ফলে ঘরের বাইরে বের হতে পারছে না মানুষ। অধিকাংশ মানুষ দিনমজুর হওয়ায় সেখানে খাবার পানিরও সংকট দেখা দিয়েছে। শুরু হয়েছে রোগবালাই ও পোকামাকড়ের আক্রমণ। বৃদ্ধ শিশু ও নারীরা অসহায় হয়ে পড়েছেন। মরিচা ইউপি চেয়ারম্যান শাহ আলমগীর জানান, তার ইউনিয়নের ভুরকা এলাকায় স্লুইচ গেট ভেঙ্গে পদ্মার পানি ঢুকে বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। ডুবে গেছে কৃষকের বিভিন্ন ধরনের ফসল ও বাড়ি-ঘর। ফিলিপনগর ইউনিয়নের ইসলামপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মহিউদ্দিন জানান, ফিলিপনগর বড়মসজিদ ও প্রাথমিক বিদ্যালয় এলাকা দিয়ে বাঁধ উপচে বন্যার পানি ঢুকতে থাকলে বালির বস্তা দিয়ে এলাকাবাসী তা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে।মঙ্গলবার দুপুরে রামকৃষ্ণপুর ও চিলমারী ইউনিয়নের বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন কুষ্টিয়া-১ দৌলতপুর আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আ.ক.ম সারওয়ার জাহান বাদশা ও কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক মো. আসলাম হোসেন। এসময় বন্যাদুর্গত ১৫’শ পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন তারা। জেলা প্রশাসক মো. আসলাম হোসেন বলেন, নদীর পানির উচ্চতা বাড়ায় নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করে প্রতিনিয়ত রিপোর্ট পাঠানো হচ্ছে। সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে প্রতি ঘণ্টায় বন্যা পরিস্থিতি মনিটরিং করা হচ্ছে। আমাদের একাধিক টিম ঘটনাস্থলে আছে। বন্যাকবলিত পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করা হচ্ছে। পর্যাপ্ত ত্রাণ প্রস্তত রয়েছে। প্রয়োজন হলে আরও ত্রাণ আনা হবে।দৌলতপুর আসনের সাংসদ অ্যাড. সারওয়ার জাহান বাদশাহ বলেন, পদ্মায় হঠাৎ পানি বেড়ে যাওয়ায় ৪ ইউনিয়নের মানুষ ক্ষতির মুখে পড়েছে। বিশেষ করে চিলমারী ও রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের বহু মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন। প্রতিনিয়ত তাদের খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে। | কুষ্টিয়া, দৌলতপুর, বন্যা |
ছাত্রদলকে ছাত্রলীগের ধাওয়া, ককটেল বিস্ফোরণ | প্রকাশ: ০১ অক্টোবর ২০১৯ | ০৭:১১ | আপডেট: ০১ অক্টোবর ২০১৯ | ০৭:১৪ | মাগুরা সরকারি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজে মঙ্গলবার ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের ধাওয়া দিয়েছে ছাত্রলীগ। এ সময় কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ছাত্রদল বলছে, ছাত্রলীগ তাদের ওপর হামলা করেছে। ছাত্রলীগের ধাওয়া ও ককটেল বিস্ফোরণে তাদের দুই কর্মী আহত হয়েছেন। তবে ছাত্রলীগের দাবী, ছাত্রদল কলেজ ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভীতি সৃষ্টি করেছে। পরে সাধারাণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে ছাত্রলীগ তাদের ধাওয়া করে ক্যাম্পাস থেকে বের করে দেয়।জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আব্দুর রহিম দাবি করেন, মঙ্গলবার ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা সরকারি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজে অনার্স প্রথম বর্ষের ওরিয়েন্টশন ক্লাস চলাকালে শিক্ষার্থীদের ফুল ও কলম দিয়ে শুভেচ্ছা জানাতে যায়। এ সময় ছাত্রলীগের একটি গ্রুপ কলেজ ক্যাম্পাসে একাধিক ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে তাদের ওপর হামলা চালায়। ছাত্রলীগের হামলায় রিমন ও রুমন নামে ছাত্রদলের দুই কর্মী আহত হন। কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক শফিকুল ইসলামকে তার দীর্ঘ সময় আটকে রাখে ছাত্রলীগ।অন্যদিকে কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি রাব্বি বলেন, ছাত্রদলের অভিযোগ সম্পুর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের ওরিয়েন্টশন ক্লাস চলাকালে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা নবাগত শিক্ষার্থীদের ক্লাসে-ক্লাসে গিয়ে ফুলেল শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করছিল। এ সময় ছাত্রদলের ২০-২৫ জন ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে ককটেল ফাটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টির চেষ্টা করছিলো। পরে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে ছাত্রলীগ তাদের ধাওয়া করে ক্যাম্পাস থেকে বের করে দেয়।সদর থানার ওসি অপারেশন সাইদুর রহমান বলেন, সোহরাওয়ার্দী কলেজে উত্তেজনার খরব পেয়ে তারা সেখানে গিয়ে পরিবেশ শান্ত দেখেন। কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিয়ামুল করিম লিটু বলেন, ওরিয়েন্টশন ক্লাস চলাকালে তিনি ৪-৫ টি ককটেল জাতীয় বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছেন। তবে কি ঘটেছে তা তিনি জানেন না। কলেজের পরিবেশ শান্ত আছে। | শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, ছাত্রদল, ছাত্রলীগ, ককটেল বিস্ফোরণ |
জিকে শামীমের ৭ দেহরক্ষী রিমান্ডে | প্রকাশ: ০১ অক্টোবর ২০১৯ | ০৭:২১ | আলোচিত যুবলীগ নেতা গ্রেফতার ঠিকাদার গোলাম কিবরিয়া (জিকে) শামীমের সাত দেহরক্ষীকে চার দিন করে রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। মানি লন্ডারিংয়ের মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশের করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার তাদের জামিনেরআবেদন নাকচ করে ঢাকা মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াসির আহছান চৌধুরী এ আদেশ দেন।আসামিরা হলেন- দেলোয়ার হোসেন, মুরাদ হোসেন, জাহিদুল ইসলাম, শহীদুল ইসলাম,কামাল হোসেন, সামসাদ হোসেন ও আনিছুল ইসলাম। আসামিদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবীআবদুর রহমান হাওলাদার। গত ২০ সেপ্টেম্বর গুলশানের নিকেতনে শামীমের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অভিযানচালিয়ে নগদ প্রায় দুই কোটি টাকা, পৌনে ২০০ কোটি টাকার এফডিআর, আগ্নেয়াস্ত্রও মদ উদ্ধার করে র্যাব। এছাড়া ১৬৫ কোটি টাকার বেশি এফডিআর পাওয়া যায়, যারমধ্যে তার মায়ের নামে ১৪০ কোটি ও ২৫ কোটি টাকা শামীমের নামে। একইসঙ্গেপাওয়া যায় মার্কিন ডলার, মাদক ও আগ্নেয়াস্ত্র। এ সময় শামীম ও তার সাতদেহরক্ষীকে গ্রেফতার করা হয়। পরদিন তাদের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় তিনটিমামলা করে র্যাব। এর মধ্যে অস্ত্র ও মুদ্রা পাচার মামলায় সবাইকে আসামি করাহলেও মাদক আইনের মামলায় শুধু শামীমকে আসামি দেখানো হয়েছে। | জিকে শামীম, আদালত |
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের সেপ্টেম্বরের বেতন ব্যাংকে | প্রকাশ: ০১ অক্টোবর ২০১৯ | ০৭:৩৩ | বেসরকারি স্কুল ও কলেজের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারিদের গত সেপ্টেম্বরের বেতন-ভাতার সরকারি অংশের টাকা সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে পাঠিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তর। মঙ্গলবার বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, বেতন-ভাতার ৮টি চেক অগ্রণী ও রূপালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এবং জনতা ও সোনালী ব্যাংকের স্থানীয় কার্যালয়ে হস্তান্তর করা হয়েছে। আগামী ১০ অক্টোবর পর্যন্ত শিক্ষক-কর্মচারিরা তাদের বেতন-ভাতার টাকা তুলতে পারবেন। | মাউশি, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা, এমপিওভুক্ত শিক্ষক |
চোরাই মোবাইল বিক্রি করেন তারা | প্রকাশ: ০১ অক্টোবর ২০১৯ | ০৭:৩৪ | চট্টগ্রাম নগরের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার রিয়াজউদ্দিন বাজারের মোবাইলের দোকানদার তারা। কিন্তু অন্য দোকানির মতো মোবাইল কোম্পানির অনুমোদিত ডিলারদের কাছ থেকে তারা মোবাইল কিনে বিক্রি করেন না। তাদের দোকানে বিক্রি হওয়া মোবাইল সরবরাহ করে চোর, পকেটমার ও ছিনতাইকারীরা। বেশি লাভের আশায় কমদামে অপরাধীদের কাছ থেকে এসব মোবাইল কিনে নিয়ে বেশি দামে বিক্রি করেন তারা। এক ছিনতাইকারীর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার রাতে নগরের রিয়াজউদ্দিন বাজার থেকে তিন দোকানিসহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে ১৬০টি চোরাই মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে।গ্রেফতাররা হলেন-রিয়াজউদ্দিন বাজার সিডিএ হকার মার্কেটের নিচতলার আলিফ ইলেক্ট্রনিক্সের মালিক দোস্ত মোহাম্মদ মানিক, ইসলাম মার্কেটের এন কে মোবাইলের মালিক মো. খলিলুর রহমান, চোরাই মোবাইল বিক্রেতা কুমিল্লা জেলার হোমনা থানার ফজরকান্দি গ্রামের মো. সোহেল রানা ও মক্কা টাওয়ারের মাদার টাচের মালিক খোরশেদ আলম পালিয়ে যাওয়ায় দোকান কর্মচারী সাহেদুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের মধ্যে মানিক ও খোরশেদ আলম মামা-ভাগিনা। এই দুইজন রিয়াজউদ্দিন বাজারের চোরাই মোবাইল সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রক বলে জানিয়েছে পুলিশ।কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মহসীন সমকালকে বলেন, গত রোববার রাতে যুবলীগ পরিচয় দেওয়া ছিনতাই চক্রের চার সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। এই চক্রের মূলহোতা নজরুল ইসলাম জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে মানুষের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া মোবাইলগুলো রিয়াজউদ্দিন বাজারের বিভিন্ন দোকানে বিক্রি করতেন তিনি। সোমবার রাতে তাকে নিয়ে রিয়াজউদ্দিন বাজারে অভিযান চালানো হয়। তার দেখিয়ে দেওয়া দোকানে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমান চোরাই মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে। যার কোন বৈধ কাগজপত্র দোকান মালিকরা দেখাতে পারেননি। চোরাই মোবাইল ক্রেতা দোকান মালিকদের গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারাও স্বীকার করেছেন বেশি লাভের আশায় চোরাই মোবাইল কিনে বিক্রি করেন তারা।কোতোয়ালী থানার পরিদর্শক মো. কামরুজ্জামান সমকালকে বলেন, রিয়াজউদ্দিন বাজারে চোরাই মোবাইল সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রক ছিলেন জাহিদুল ইসলাম আলো। তার ঘনিষ্ট সহযোগী ছিলেন দোস্ত মোহাম্মদ মানিক ও খোরশেদ আলম। আলো র্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হলে চোরাই মোবাইল সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণ নেন মানিক ও তার ভাগিনা খোরশেদ। তাদের নিয়ন্ত্রণে রিয়াজউদ্দিন বাজারে পকেটমার, ছিনতাইকারী ও চোরদের কাছ থেকে কিনে নেওয়া মোবাইল কেনাবেচা হয়।পুলিশ জানায়, যুবলীগ পরিচয়ে ছিনতাই চক্রের হোতা নজরুল ইসলাম পুলিশকে জানান, মানুষের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া মোবাইল বিক্রি করতেন আলিফ ইলেক্ট্রনিক্স, মাদার টাচ ও এনকে মোবাইল নামের দোকানে। পরে তাকে নিয়ে আলিফ ইলেক্ট্রনিক্সে অভিযান চালিয়ে ৭৩টি চোরাই মোবাইল উদ্ধার করা হয়। এসব মোবাইলের কোন কাগজপত্র দেখাতে না পারায় মালিক দোস্ত মোহাম্মদ মানিককে গ্রেফতার করা হয়। এরপর এনকে মোবাইল নামের দোকানে অভিযান চালিয়ে ৬৫টি চোরাই মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে মালিক খলিলুর রহমানকে। মাদার টাচ নামের মোবাইল বিক্রির দোকানে অভিযান চালিয়ে ২২টি চোরাই মোবাইল উদ্ধার করা হয়। দোকানটির মালিক খোরশেদ আলম পালিয়ে যাওয়ায় কর্মচারী সাহেদুল ইসলামকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে খলিলুর রহমান স্বীকার করেছেন উদ্ধার হওয়া মোবাইলের মধ্যে কিছু মোবাইল সোহেল রানা নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে কিনেছেন। পরে নগরের কোতোয়ালী থানার পাথরঘাটা মিরিন্ডা লেইনের এসডিসি টাওয়ারে অভিযান চালিয়ে সোহেল রানাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। | চোরাই মোবাইল, গ্রেফতার, মোবাইল |
আসক'র আস্থা প্রকল্পের ফেলোশিপ পেলেন ১৭ সাংবাদিক | প্রকাশ: ০১ অক্টোবর ২০১৯ | ০৭:৪৬ | জেন্ডার ভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধে গণমাধ্যমকে সক্রিয়ভাবে যুক্ত করতে প্রিন্ট, অনলাইন ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার ১৭ সাংবাদিককে ফেলোশিপ দিয়েছে আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) আস্থা প্রকল্প। এ বিষয়ে গত রোববার থেকে আইন ও সালিশ কেন্দ্রের কনফারেন্স রুমে দুই দিনের কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।কর্মশালার বিভিন্ন সেশন পরিচালনায় ছিলেন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক শিপা হাফিজা, সহকারী সমন্বয়কারী মমি মঞ্জুরী চৌধুরী, প্রথম আলোর স্পেশাল নিউজ এডিটর কুররাতুল-আইন-তাহমিনা, আইন ও সালিশ কেন্দ্রের আস্থা প্রকল্পের টিম লিডার, খালেদা খানম, ক্যাপাসিটি বিল্ডিং এক্সপার্ট জুয়েল আহমেদ এবং ট্রেইনার আশিক আহামেদ। জার্নালিস্ট ফেলোশিপ প্রোগ্রাম আয়োজনে সার্বিক সমন্বয় ও তত্ত্বাবধানে ছিলেন আস্থা প্রকল্পের কমিউনিকেশন এক্সপার্ট মিতালী দাশ।আস্থা প্রকল্পটি বাস্তবায়নে কাজ করছে আইন ও সালিশ কেন্দ্র। কারিগরি সহযোগিতায় আছে ইউএনএফপিএ এবং অর্থায়নে বাংলাদেশে অবস্থিত নেদারল্যান্ডস এম্বাসি। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি | আইন ও সালিশ কেন্দ্র, আসক, ফেলোশিপ |
আজ জামিন পেলে কালই বিদেশ যাবেন খালেদা জিয়া: এমপি হারুন | প্রকাশ: ০১ অক্টোবর ২০১৯ | ০৭:৪৭ | আপডেট: ০১ অক্টোবর ২০১৯ | ১৪:৫৬ | বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আদালত থেকে জামিন পেলে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাবেন বলে জানিয়েছেন দলটির যুগ্ম মহাসচিব সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ।মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) থাকা চেয়ারপারসনের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের একথা জানান তিনি।হারুনুর রশিদ বলেন,খালেদা জিয়া চিকিৎসার সুযোগ পেলে তো অবশ্যই বিদেশ যাবেন। তিনি আজকে জামিনপেলে কালকেই বিদেশ যাবেন এবং যদি আজকে জামিন পান তাহলে তার প্রথমঅগ্রাধিকার হবে চিকিৎসা। তাহলে কালকেই দেখা যাবে যে, তিনি ভিসার জন্য আবেদনকরবেন।বিকেল ৪টার দিকে খালেদা জিয়ার সঙ্গে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনেরউকিল আব্দুস সাত্তার, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের হারুনুর রশীদ এবংচাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের আমিনুল ইসলাম সাক্ষাৎ করেন। একাদশ জাতীয় সংসদনির্বাচনে ৬ জন নির্বাচিত হওয়ার পর তাদের এটিই প্রথম সাক্ষাৎ। তারা নেত্রীরজন্য ফুলের তোড়া ও ফল-মুলের একটি ঝুড়ি নিয়ে যান। আধাঘন্টাব্যাপী সাক্ষাৎশেষে হারুনুর রশীদ সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন। এসময় খালেদা জিয়ারশারীরিক অবস্থার বর্ণনা দিতে গিয়ে কাঁদেন দলীয় তিন এমপি।এমপি হারুন বলেন, যেরকম তার (খালেদা জিয়া) শারীরিক অবস্থা তাতে তার চিকিৎসা বাংলাদেশে বিশেষায়িতহাসপাতালে নেই। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে চিকিৎসার জন্যসিঙ্গাপুর নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তিন বারের সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে কেনো এইচিকিৎসার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে? এটা সারাদেশের মানুষ জানতে চায়।অশ্রুসজল কন্ঠে তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার অবস্থা খুব বেদনাদায়ক, খুবইপীড়াদায়ক এবং কষ্টদায়ক-এটি ভাষায় বর্ণনা করা যায় না। তার প্রতি সরকারের চরমজুলুমের বহিঃপ্রকাশ যা দেখেছেন তা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না।বিএনপির এই নেতা বলেন, খালেদা জিয়া চরম অসুস্থ এবং হাত দিয়ে নিজের খাওয়া নিজে খেতেপারেন না, তার হাত কাঁপে। নিজের কাপড় নিজে পড়তে পারেন না। এই অবস্থায় তাকেবন্দি রাখা-এটা কত বড় অমানবিক। খালেদা জিয়া শুধু দেশবাসীর কাছে দোয়াচেয়েছেন। তিনি বলেন, তিনবারের প্রধানমন্ত্রী, দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অন্যতম নেত্রী আজকে চরমঅমানবিক জুলুমের শিকার। এটি ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। এ সময় অন্য দুইসাংসদের চোখ দিয়ে পানি পড়ছিল। সাংগঠনিক বিষয়ে কোনো আলাপ হয়েছে কিনা প্রশ্ন করা হলে হারুন বলেন, তিনি দলেরখোঁজ-খবর নিয়েছেন। গত একমাসে সারাদেশে বিভিন্ন বিভাগীয় সমাবেশের বিষয়ে তাকেবলা হয়েছে। সরকারের বাধা-বিপত্তির পরেও লক্ষ লক্ষ লোক ওইসব সমাবেশেযোগদান করেছে। তিনি শুধু বললেন- তোমরা সবাইকে নিয়ে দেখে-শুনে এক সঙ্গেথাকো। দেশে গণতান্ত্রিক অবস্থা ফিরে আসলে মানুষ যেন মুক্তভাবে চলাফেরা করতেপারে, তাদের ভোটাধিকার ফিরে পায় সেজন্য কাজ করো।তিনি বলেন, দেশবাসীর উদ্দশে জানাচ্ছি, খালেদা জিয়ার জামিনের যে অধিকার,সেই অধিকার থেকে তাকে বঞ্চিত করা হয়েছে। যত দ্রুত সরকার জামিন দেবে আইনেরশাসনের ক্ষেত্রে দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।সরকারের পক্ষ থেকে প্যারোলের কোনো প্রস্তাবনা আছে কিনা প্রশ্ন করা হলে হারুনবলেন, এই ধরনের কোনো প্রস্তাবনা নেই। প্যারেলের বিষয়টা আসবে কেনো? তিনি তোজামিন পাওয়ার যোগ্য।জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় গত বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদাজিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। রায় ঘোষণার পরই সাবেক এপ্রধানমন্ত্রীকে নাজিমুদ্দিন রোডের পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারকে বিশেষকারাগার ঘোষণা দিয়ে সেখানে রাখা হয়। শারীরিকভাবে অসুস্থ খালেদা জিয়া বর্তমানে বিএসএমএমইউতে চিকিৎসাধীন। | বিএনপি, খালেদা জিয়া |
সাংবাদিক পরিচয়ে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে ধরা | প্রকাশ: ০১ অক্টোবর ২০১৯ | ০৭:৫১ | লক্ষ্মীপুরের রামগতির আলেকজান্ডারে মাছ ঘাটে চাঁদাবাজি করার সময় রিয়াদ, সুমন রানাস ও ইব্রাহিম নামে ৩ ভুয়া সাংবাদিক এবং তাদের গাড়ি চালক সাইফুলকে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার রাতে এই ঘটনা ঘটে।এ সময় তাদের ব্যবহৃত একটি মাইক্রোবাস, ক্যামেরা, চার্জার, পেনড্রাইভ, বিজয় টিভির লোগো ও তিনটি ভুয়া আইডি কার্ড জব্দ করে পুলিশ। পুলিশ জানায়, আটকৃরা শরীয়তপুর ডামুড্ডা, নওগাঁ জেলার আত্রাই, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা ও নোয়াখালী জেলার পশ্চিম রাধারামপুর এলাকার বাসিন্দা। তাদের বিরুদ্ধে বিজয় টিভির লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি সোহেল মাহমুদ মিলন বাদী হয়ে রামগতি থানায় মামলা দায়ের করেছেন। তারা বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল বিজয় টিভির স্টাফ রিপোর্টার পরিচয় দিয়ে মাছ ঘাট ও সরকারি কয়েকটি দফতরে চাঁদাবাজির চেষ্টা করেন। রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এটিএম আরিচুল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, মাছ ঘাটে চাঁদাবাজি করার সময় বিজয় টিভির ভুয়া সাংবাদিক রিয়াদ, সুমন রানা, ইব্রাহিম, ও গাড়ি চালক সাইফুলকে জনকে আটক করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে তারা প্রতারণা করার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। তাদেরকে ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে মঙ্গলবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেলা হাজতে পাঠানো হয়েছে। | সাংবাদিক, ভুয়া সাংবাদিক, লক্ষ্মীপুর, চাঁদাবাজি |
চাকসু নির্বাচনের দাবিতে ফের সরব ছাত্র সংগঠনগুলো | প্রকাশ: ০১ অক্টোবর ২০১৯ | ০৭:৫৪ | ছাত্র সংগঠনগুলোর দাবির মুখে চলতি বছরের মার্চে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছিলেন সদ্য সাবেক উপাচার্য ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী। চাকসুর নীতিমালা পর্যবেক্ষণে ২১ মার্চ বিজ্ঞান অনুষদের ডিন মোহাম্মদ সফিউল আলমকে প্রধান করে একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছিল। ৬ মাস পরও ওই কমিটি কোনো প্রতিবেদন না দেওয়ায় স্থবির হয়ে পড়ে চাকসু নির্বাচনের আলোচনা। তবে সম্প্রতি ছাত্র সংগঠনগুলো চাকসু নির্বাচনের দাবিতে ফের সরব হয়েছে। মঙ্গলবার চাকসু ভবনে ছাত্র ইউনিয়নের নবনির্বাচিত কমিটির সঙ্গে প্রগতিশীল সংগঠনগুলোর পরিচিতি অনুষ্ঠানেও চাকসু নির্বাচনের দাবি তোলা হয়।সংগঠনটির সভাপতি গৌরচাঁদ ঠাকুর অপু বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে গণতান্ত্রিক রাজনীতি চর্চার অভাব রয়েছে। এর জন্য চাকসু নির্বাচন দিতে হবে। শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপু বলেন, চাকসু নির্বাচন নিয়ে তারা দায়িত্বপ্রাপ্ত ভিসির সঙ্গে কয়েক দফা কথা বলেছেন। সব ছাত্র সংগঠন চাপ দিলে প্রশাসন চাকসু নির্বাচন দিতে বাধ্য হবে।অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেল, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের (মার্ক্সবাদী) সাধারণ সম্পাদক সায়মা আক্তার মিশু ও ছাত্র ফেডারেশনের চবি শাখার দপ্তর সম্পাদক শুকলা চাকমা। এ সময় বিভিন্ন প্রগতিশীল সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের দৃশ্যত কোনো অবস্থান না থাকলেও বিভিন্ন সময় তারাও চাকসু নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে। সংগঠনটির সভাপতি খোরশেদ আলম মঙ্গলবার বলেন, চাকসু নিয়ে ছাত্রদল আগের অবস্থানেই রয়েছে। দেশে যে গণতন্ত্রহীনতার চর্চা চলছে তা থেকে উত্তরণের জন্য চাকসু নির্বাচনের বিকল্প নেই।বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপাচার্য ড. শিরীন আখতার বলেন, 'আমি তো দায়িত্বপ্রাপ্ত, আর সামনে ভর্তি পরীক্ষা। পরীক্ষা শেষ হোক। আমি স্থায়ী হলে চাকসু নির্বাচন দেব ইনশাআল্লাহ।' | চাকসু নির্বাচন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় |
সেপ্টেম্বরে ৪১ কোটি টাকার মাদক ও পণ্য জব্দ বিজিবির | প্রকাশ: ০১ অক্টোবর ২০১৯ | ০৮:০২ | সীমান্তসহ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে গত সেপ্টেম্বরে ৪১ কোটি ৩০ লাখ ৮ হাজার টাকার চোরাচালান পণ্য ও মাদক জব্দ করেছে বিজিবি। এ ছাড়া চোরাচালানে জড়িত থাকায় ২৪৪ জন এবং অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করায় ৮৪ বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।বিজিবি সূত্র জানায়, তিন লাখ ৬৩ হাজার ৪৬ পিস ইয়াবা, ৩৩ হাজার ১৭৭ বোতল ফেনসিডিল, পাঁচ হাজার ৭৯৫ বোতল বিদেশি মদ, ১৬৭ লিটার বাংলা মদ, ৫৫৫ ক্যান বিয়ার, ৫৩২ কেজি গাঁজা, এক কেজি ২৫০ গ্রাম হেরোইন, ১৮ হাজার ২৯৮টি অ্যানেগ্রা বা সেনেগ্রা ট্যাবলেট, দুই হাজার ৯৪১টি ইনজেকশন ও এক লাখ ৫৬ হাজার ১০১টি অন্যান্য মাদক ট্যাবলেট জব্দ করা হয়েছে। পণ্যের মধ্যে রয়েছে- এক কেজি ৮২০ গ্রাম স্বর্ণ, নয় কেজি রুপা, নয় হাজার ৫১টি ইমিটেশন গহনা, ৫১ হাজার ৯৪০টি প্রসাধন সামগ্রী, দুই হাজার ২৩১টি শাড়ি, ৯৪০টি থ্রিপিস, এক হাজার ৪৭০টি তৈরি পোশাক, তিনটি পিতলের মূর্তি, নয় হাজার ২৪৫ ঘনফুট ও চার হাজার ৯৩০ ফুট কাঠ, ১২ হাজার ৬৪১ কেজি চা পাতা, ১৪টি ট্রাক, চারটি পিকআপ, দুটি প্রাইভেটকার, ১১টি সিএনজিচালিত অটোরিকশা এবং ৪৭টি মোটরসাইকেল। উদ্ধারকৃত অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে একটি পিস্তল, চারটি বন্দুক ও সাত রাউন্ড গুলি। | বিজিবি |
সাগর-রুনি হত্যা মামলা: ৬৮ বার পেছাল তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল | প্রকাশ: ০১ অক্টোবর ২০১৯ | ০৮:০৩ | আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০১৯ | ০৭:৩৯ | সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরোয়ার ও মেহেরুন নাহার রুনি হত্যা মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১৪ নভেম্বর ফের দিন ধার্য করেছেন আদালত। মঙ্গলবার মামলার তদন্ত সংস্থা র্যাব প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকা মহানগর হাকিম দেবব্রত বিশ্বাস নতুন করে এই দিন ধার্য করেন। এ নিয়ে গত সাত বছরে প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ ৬৮ বার পেছাল।২০১২ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি রাতে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল মাছরাঙার বার্তা সম্পাদক সাগর সরোয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনি দম্পতি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের ভাড়া বাসায় নির্মমভাবে খুন হন। পরদিন ভোরে তাদের ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনার পর রুনির ভাই নওশের আলম রোমান শেরেবাংলা নগর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। প্রথমে মামলাটি শেরেবাংলা নগর থানার মাধ্যমে তদন্ত শুরু হয়। এর চার দিন পর চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলা হিসেবে এর তদন্তভার ঢাকা মহানগর ডিবি পুলিশকে দেওয়া হয়। দুই মাসেরও বেশি সময় তদন্ত করে ডিবি রহস্য উদ্ঘাটনে ব্যর্থ হয়। পরে ২০১৪ সালের ১৮ এপ্রিল হাইকোর্টের নির্দেশে হত্যা মামলাটির তদন্ত ভার র্যাবের ওপর ন্যস্ত করা হয়। মামলায় রুনির কথিত বন্ধু তানভীর রহমানসহ মোট আসামি আটজন। মামলার অপর আসামিরা হলো- বাড়ির নিরাপত্তা প্রহরী এনাম আহমেদ ওরফে হুমায়ুন কবির, রফিকুল ইসলাম, বকুল মিয়া, মিন্টু ওরফে বারগিরা মিন্টু ওরফে মাসুম মিন্টু, কামরুল হাসান অরুণ, পলাশ রুদ্র পাল, তানভীর ও আবু সাঈদ। | সাগর-রুনি হত্যা , সাগর সরোয়ার, মেহেরুন নাহার রুনি |
চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রয়োজন দক্ষ মানবসম্পদ: জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী | প্রকাশ: ০১ অক্টোবর ২০১৯ | ০৮:২০ | জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, আগামী দিনের চ্যালেঞ্জমোকাবিলা ও দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে প্রয়োজন দক্ষ মানবসম্পদ।এজন্য পরিকল্পিতভাবে দক্ষ ও যোগ্য মানবসম্পদ তৈরি করতে হবে। সোমবাররাজধানীর অফিসার্স ক্লাবে বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারভুক্ত কর্মকর্তাদেরকর্মজীবন পরিকল্পনা বিষয়ক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানেপ্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিতছিলেন। জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দীন ও জনপ্রশাসনমন্ত্রণালয়ের সচিব ফয়েজ আহম্মদ আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন। স্বাস্থ্য শিক্ষা ওপরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব শেখ ইউসুফ হারুন অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যরাখেন।প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশউন্নয়নের অগ্রযাত্রায় শামিল হয়েছে। তিনি দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিম্ন আয়েরদেশকে নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করেছেন।তিনি বলেন, এ উন্নয়ন যাত্রা অব্যাহত রেখেবাংলাদেশকে ঊন্নত ও সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করতে হলে সরকারিকর্মকর্তা-কর্মচারীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। আগামী দিনেরচ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য সরকারি কর্মকর্তাদের যোগ্য ও সক্ষম করে গড়ে তুলতেহবে। | প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন |
সরকার দুর্নীতি বন্ধে দু'জন চুনোপুঁটির নামে টোকাই ধরেছে: মির্জা আব্বাস | প্রকাশ: ০১ অক্টোবর ২০১৯ | ০৮:২১ | আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০১৯ | ০৭:৩৮ | বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, সরকার দুর্নীতি বন্ধে দু'জন চুনোপুঁটির নামে টোকাই ধরেছে। এই টোকাইয়ের পকেট থেকে যদি এত টাকা বের হয়, তাহলে বাঘা বাঘা নেতাদের পকেট থেকে কত টাকা বের হবে- এটা দেশবাসী জানতে চায়।মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে কৃষক দলের উদ্যোগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এ কথা বলেন। মির্জা আব্বাস বলেন, ক্ষমতাসীনদের দুর্নীতির কারণেই বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। এখন পেঁয়াজের কেজি ১২০-১৩০ টাকা। এক সচিব বলেন, উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ নেই। পেঁয়াজের দাম কত টাকা হলে উদ্বিগ্ন হবেন- এটা প্রকাশ করলে জনগণ খুশি হতো।দুর্নীতির বিরুদ্ধে শুদ্ধি অভিযান নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ঘর থেকে শুরু শুদ্ধি অভিযানের বক্তব্যকে স্বাগত জানাই। খুব তাড়াতাড়ি রাঘববোয়ালদের ধরবেন- এটাও প্রত্যাশা করছি।বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ২০০৬ সালের পর থেকে আজ পর্যন্ত দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) অফিসে হিসাব দিতে দিতে, আদালতের বারান্দায় হাজিরা দিতে দিতে বিএপির নেতাকর্মীদের জান শেষ। বিএনপির নেতারা এক যুগ ধরে তো হিসাব দিচ্ছেনই। এখন সরকারের ব্যাপক লুটপাটের একটু হিসাব দেন।মির্জা আব্বাস বলেন, দুর্গাপূজা উপলক্ষে বাংলাদেশ থেকে ৫০০ টন ইলিশ উপহার হিসেবে ভারতে পাঠানো হয়েছে। ৫০০ টাকা কেজি হিসাবে সেখানে গেছে। খুব ভালো। বিনিময়ে ভারত ফারাক্কা বাঁধের ১০৯টি স্লুইসগেট খুলে দিয়েছে। এখন দেশ বন্যায় ডুবে যাবে। আবার পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দিয়েছে।কর্মসূচিতে আরও বক্তব্য দেন- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ মেহেদি আহমেদ রুমি, আবুল খায়ের ভূঁইয়া, কেন্দ্রীয় নেতা আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী, আবদুস সালাম আজাদ প্রমুখ। | মির্জা আব্বাস, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য |
ইউএনওর পিয়নের বিরুদ্ধে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ | প্রকাশ: ০১ অক্টোবর ২০১৯ | ০৮:২২ | আপডেট: ০১ অক্টোবর ২০১৯ | ০৮:২৪ | নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ের অফিস সহায়ক জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে ৬ষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রীকে (১২) তুলে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। রোববার রাতে সোনাইমুড়ী উপজেলার ২নং নদোনা ইউনিয়নের শাকতলা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।এ ঘটনায় দুই দিন আগে ইউএনওর কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়ে কোন বিচার না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন ছাত্রীটির বাবা। ঘটনার ৩ দিন পেরিয়ে গেলেও এ ঘটনায় বিচার না পেয়ে হতাশা হয়ে পড়েছে ছাত্রীটির পরিবার। উপজেলার নদোনা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ওই ছাত্রী জানায়, রোববার রাতে সে পাশের বাড়িতে টিভি দেখতে যাচ্ছিল। এ সময় শাকতলা গ্রামের কাজী বাড়ির জালাল আহমেদের ছেলে ও সোনাইমুড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কার্যালয়ের অফিস সহায়ক (পিয়ন) জাকির হোসেন তার মুখে কাপড় গুজে একটি পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করে। এ সময় সে ধর্ষণের হাত থেকে বাঁচার চেষ্টা করলে তাকে গলায় গামছা পেঁচিয়ে হত্যার হুমকি দেয়। বিষয়টি স্থানীয় লোকজন টের পেয়ে তার পরিবারে খবর দিলে তার দাদি গিয়ে তাকে উদ্ধার করে। এ সময় জাকির পালিয়ে যায়।ছাত্রীটির বাবা-মা জানান, ঘটনাটি তারা স্থানীয় নদোনা ইউপির ৬নং ওয়ার্ড মেম্বার মো. শাহজাহানকে জানালে তিনি সোনাইমুড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পরামর্শ দেন। সোমবার সকালে মেয়েকে নিয়ে তারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা টিনা পালের সঙ্গে দেখা করে ঘটনার বর্ণনা দিয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। ইউএনও তাদের মঙ্গলবার কার্যালয়ে দেখা করার পরামর্শ দেন। সে অনুযায়ী মঙ্গলবার দুপুরে ছাত্রীটিকে নিয়ে তার বাবা-মা ইউএনওর সঙ্গে দেখা করেন। ছাত্রীটির মা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ইউএনও তাদের গালমন্দ করেন এবং এক পর্যায়ে অভিযুক্ত জাকির হোসেন ও মেয়েটিকে মুখোমুখি বসিয়ে কথা বলেন। এ সময় ছাত্রীটি পুরো ঘটনার বর্ণনা দিলেও তিনি ছাত্রীটির কথা বিশ্বাস না করে জাকিরের কথা বিশ্বাস করেছেন। এক পর্যায়ে ইউএনও এ ঘটনাটি স্থানীয় পর্যায়ে মীমাংসা করার পরামর্শ দিয়ে তাদের কক্ষ থেকে বের করে দেন। ঘটনার পর বাড়ি ফিরে বিষয়টি ইউপি সদস্য শাহজাহানকে জানালে তিনি আগামী শুক্রবার সালিশ বৈঠকে বসার দিন ধার্য্য করেন। ওই ছাত্রীর বাবা জানান, ঘটনার পর থেকে তার মেয়ে লোকলজ্জার ভয়ে ঘর থেকে বের হওয়া ও বিদ্যালয়ে আসা যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে।ইউপি মেম্বার শাহজাহান বলেন, বিষয়টি তার বাবা-মা আমাকে জানালে ইউএনওর কাছে যাওয়ার পরামর্শ দেই। ইউএনও বিষয়টি স্থানীয় পর্যায়ে মীমাংসা করার জন্য বললে আমি আগামী শুক্রবার এ নিয়ে বসার সিদ্বান্ত নিয়েছি। বিষয়টি সালিশ যোগ্য কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মেয়েটির পরিবার ও স্থানীয় লোকজনের অনুরোধে তিনি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা টিনা পাল ছাত্রীটির বাবা-মায়ের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, সোমবার ছাত্রীটির বাবা-মা একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। মঙ্গলবার আমি ছাত্রী ও তার মায়ের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা একেক সময় একেক কথা বলছেন। কখনও বলেন ধর্ষণ করেছে, কখনও বলেন ধর্ষণের চেষ্টা করেছে। এছাড়া জাকিরের পরিবারের সঙ্গে মেয়েটির পরিবারের জমি সংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে। এরপরেও তিনি মেয়েটির অভিভাবককে আইনি সহায়তা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। ঘটনা সত্য হলে জাকিরকে তার চুক্তিভিত্তিক চাকরি থেকে বাদ দেওয়া হবে। তবে ইউএনও বরাবর করা ধর্ষণের লিখিত অভিযোগটি সোনাইমুড়ী থানায় পাঠানো হয়নি বলে নিশ্চিত করেছেন ওসি আবদুস সামাদ। তিনি জানান, এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। | নোয়াখালী, ধর্ষণ, ইউএনও, পিয়ন |
গাবতলীতে ১১ একর জায়গা দখলমুক্ত | প্রকাশ: ০১ অক্টোবর ২০১৯ | ০৮:২৪ | আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০১৯ | ০৭:৩৭ | রাজধানীর গাবতলীতে অভিযান চালিয়ে ১১ একর জায়গা উদ্ধার করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। এসব জায়গা দখল করে প্রভাবশালীরা কয়লা, ইট ও বালুর আড়ত গড়ে তুলেছিল। মঙ্গলবার ডিএনসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আমিনুল ইসলাম ও সাজিদ আনোয়ারের নেতৃত্বে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে এগুলো উচ্ছেদ করা হয়। ডিএনসিসি জানায়, অভিযানে গাবতলী পশুহাট এবং তুরাগ নদীর পাশের প্রায় ৫০টি কয়লা, ইট, বালুর আড়ৎ এবং প্রায় ১০০টি টং দোকান ও অস্থায়ী স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। এ ছাড়া গাবতলী পশুহাট ও তুরাগ নদীর তীরের মধ্যবর্তী এলাকায় ডিএনসিসির প্রায় ১১ একর জায়গা অবৈধ দখলমুক্ত করা হয়। এসব জায়গা প্রভাবশালীরা বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার করে আসছিল। অভিযানের সময় ডিএনসিসির ওয়ার্ড কাউন্সিলর মুজিব সারোয়ার মাসুম ও আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা সালেহা বিনতে সিরাজ উপস্থিত ছিলেন। | গাবতলী, ডিএনসিসি, দখলমুক্ত |
বরগুনায় ইলিশ উৎসব বুধবার | প্রকাশ: ০১ অক্টোবর ২০১৯ | ০৮:৩১ | বাংলাদেশের ভৌগোলিক নির্দেশক বা জিআই পণ্য ইলিশের অধিক প্রচার ও প্রসারের জন্য আজ বুধবার বরগুনার সার্কিট হাউস মাঠে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ইলিশ উৎসব ২০১৯। দিনব্যাপী ইলিশ উৎসবে থাকছে র্যালি, আলোচনা সভা, সাধারণ জ্ঞান প্রতিযোগিতা, নাটক, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ ইলিশের ওপর নির্মিত প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শনী। এ ছাড়াও বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে থাকছে বিষখালী, বলেশ্বর ও পায়রা নদীসহ বঙ্গোপসাগরের তাজা ইলিশ সাশ্রয় মূল্যে কেনাবেচার ব্যবস্থা। মেলায় ৩০টি স্টল থেকে স্বল্পমূল্যে কেনা যাবে ৯০ আইটেমের ইলিশ সংবলিত রকমারি সুস্বাদু খাদ্যসামগ্রী।বুধবার সকাল ১০টায় বরগুনা সার্কিট হাউস মাঠে ইলিশ উৎসবের উদ্বোধন করবেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও বরগুনা-১ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু।দেশের সর্বদক্ষিণের উপকূলীয় জেলা বরগুনায় প্রথমবারের মতো উৎসবটি আয়োজন করছে বরগুনা জেলা প্রশাসন ও জেলা টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরাম। এই উৎসবের মাধ্যমে ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুম আগামী ৯ অক্টোবর থেকে ৩০ অক্টোবর ২২ দিন জেলেদের ইলিশ ধরা থেকে বিরত থাকার জন্য প্রচারণাও চালানো হবে।ইলিশ উৎসব উপলক্ষে সোমবার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সেখানে বরগুনা জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী সামনে রেখে জাতীয় মাছ বরগুনার ইলিশকে বিশ্বব্যাপী পরিচিত করে তুলতে ও ইলিশ ভাণ্ডার হিসেবে খ্যাত বরগুনায় দেশি-বিদেশি পর্যটককে ইকোট্যুরিজমে আকৃষ্ট করতে এ উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ ও জাটকা সংরক্ষণে জনসচেতনতা তৈরি এ উৎসবের প্রধান লক্ষ্য।সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও বরগুনা-১ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু, বরগুনা চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির, পৌর মেয়র শাহাদাত হোসেন, জেলা টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি মনির হোসেন কামাল, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদসহ জেলা প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তা ও স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মী, রাজনেতিক দলের নেতা ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধি।মৎস্য সম্পদের উন্নয়নে বর্তমান সরকারের ব্যাপক পরিকল্পনা রয়েছে জানিয়ে ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু বলেন, আগামীতে এ আয়োজনকে জাতীয় পর্যায়ে করার পরিকল্পনা হতে পারে। সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা শহীদুল ইসলাম বলেন, আগামী ৯ থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত মা ইলিশ তাদের প্রজনন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবে। বরগুনায় আয়োজিত ইলিশ উৎসবের মাধ্যমে জেলেদের প্রতি অনুরোধ থাকবে, যাতে এই প্রজনন মৌসুমে জেলেরা মাছ ধরা থেকে বিরত থাকেন।আয়োজনকারী প্রতিষ্ঠান বরগুনা জেলা টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর সালেহ বলেন, বরগুনা জেলার প্রধান তিনটি নদী বিষখালী, পায়রা ও বলেশ্বরের সুস্বাদু ইলিশ দেশব্যাপী বিখ্যাত। তাই জাতীয় মাছ ইলিশ ও বরগুনা জেলাকে ব্র্যান্ডিং করার লক্ষ্যেই আমাদের এই আয়োজন।বরগুনা জেলা মৎস্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, ২০১৭-১৮ অর্থবছরের হিসাবে বরগুনা জেলায় আহরিত ইলিশের পরিমাণ হচ্ছে ৮৯ হাজার ৫৩১ টন। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে আহরণ হয়েছে ৯৫ হাজার ৯৩৮ টন। | ইলিশ উৎসব, বরগুনা |
আবার বাড়ছে ডেঙ্গু রোগী | প্রকাশ: ০১ অক্টোবর ২০১৯ | ০৮:৩২ | ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা আবারও বাড়ছে। দু'দিন ধরে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে চলছে। গত চব্বিশ ঘণ্টায় নতুন করে ৩৭১ জন আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তবে দু'দিন ধরে কারও মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। চলতি বছর এ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ২৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে সরকারি হিসাবে এখন পর্যন্ত ৮১ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের তথ্য অনুযায়ী, গত মঙ্গলবার নতুন করে আরও ৩৭১ জন আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। গত সপ্তাহে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা কমতে শুরু করে। কিন্তু দু'দিন ধরে আক্রান্তের সংখ্যা আবারও বাড়তে শুরু করেছে। গত রোববার আক্রান্তের সংখ্যা ৩৪২ জনে নামলেও সোমবার ৩৪৮ জন আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। মঙ্গলবার এ সংখ্যা আরও কিছুটা বেড়ে ৩৭১ জনে দাঁড়ায়। সকাল ৮টা থেকে পরদিন সকাল ৮টা পর্যন্ত মোট চব্বিশ ঘণ্টা ধরে প্রতিদিন হাসপাতালে নতুন করে ভর্তি রোগীর তালিকা করা হয়। সে অনুযায়ী গত চব্বিশ ঘণ্টায় ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ১০৬ এবং ঢাকার বাইরে বিভিন্ন বিভাগ ও জেলা হাসপাতালে ২৬৫ রোগী ভর্তি হয়েছেন। চলতি বছর এ পর্যন্ত ৮৮ হাজার ৩২৪ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৮৬ হাজার ৬১৬ জন চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল ছেড়েছেন। | ডেঙ্গু , এডিশ মশা |
নগদ-এ নিবন্ধন করলে স্মার্টফোন জেতার সুযোগ | প্রকাশ: ০১ অক্টোবর ২০১৯ | ০৮:৩৫ | বাংলাদেশ ডাক বিভাগের ডিজিটাল ফিন্যান্সিয়াল সেবা নগদ-এ নিবন্ধনের মাধ্যমে স্মার্টফোন জেতার সুযোগ মিলছে।মঙ্গলবার প্রতিষ্ঠানটির সহকারী ব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) লিংকন মো. লুৎফরজামান সরকারের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, যেকোনও গ্রাহক নিজে কিংবা নগদ উদ্যোক্তার মাধ্যমে নগদ কর্তৃপক্ষের যাচাই করা সফল ডিকেওয়াইসি নিবন্ধন করলেই নিশ্চিত ২৫ টাকা উপার্জন করতে পারবেন। সফল নিবন্ধনের পর ৭২ ঘণ্টার মধ্যে গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে ২৫ টাকা পৌঁছে যাবে।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ ছাড়া নগদ-এ নিবন্ধনের পর গ্রাহকরা নগদ থেকে করা প্রশ্নের সঠিক উত্তরের ভিত্তিতে একটি স্যামসাং স্মার্টফোন জিতে নিতে পারবেন। কোনও গ্রাহক স্মার্টফোন পাওয়ার জন্য বিবেচিত হলে ৩০ দিনের মধ্যে তা হস্তান্তর করা হবে। স্মার্টফোনের বিষয়ে নগদ কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে। গ্রাহকদের নিজেদের একটি ছবি অথবা সেলফি এবং নিজেদের জাতীয় পরিচয়পত্রের উভয় পাশের ছবির মাধ্যমে একজন গ্রাহক নিজে নিবন্ধন করতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে নগদ অ্যাপ দ্বারা সংগৃহীত প্রয়োজনীয় সব তথ্য জাতীয় তথ্যভাণ্ডার থেকে নগদ যাচাই করে নেবে।এ ছাড়া নগদ উদ্যোক্তার মাধ্যমেও একজন গ্রাহক ডিকেওয়াইসি নিবন্ধন করতে পারবেন। নগদ-এ নতুন অ্যাকাউন্ট নিবন্ধন করতে দুই মিনিটের কম সময় লাগে।গ্রাহকরা নগদ-এর অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ, ওয়েবসাইট এবং ১৬১৬৭ নম্বরে ফোন করে স্মার্টফোন বিজয়ী বা ২৫ টাকা উপার্জনের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে। | নগদ |
কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মিলে লুটে খেল ট্যাক্সের ৯০ লাখ টাকা | প্রকাশ: ০১ অক্টোবর ২০১৯ | ০৮:৪১ | বগুড়া শহরের বসতবাড়ির মালিকদের কাছ থেকে ট্যাক্স হিসেবে আদায় করা অন্তত ৯০ লাখ টাকা পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মিলেমিশে আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।ভুয়া রসিদ বই ছাপিয়ে এবং রসিদ বইয়ের কার্বন কপি জালিয়াতি করে পৌরসভা কার্যালয়ে বসেই বছরের পর বছর ধরে এ অপকর্ম করা হলেও তা কর্তৃপক্ষের নজরে আসেনি। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বিষয়টি অবহিত হওয়ার পরপরই পৌর প্রশাসন নড়েচড়ে বসে।দুদকের তৎপরতার মুখে ট্যাক্সের টাকা আত্মসাতের ঘটনায় বগুড়া পৌরসভার তৎকালীন এক সচিবকে বদলি, কর বিভাগের দুই কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত এবং চুক্তিভিত্তিক অপর ছয় কর্মচারীকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে দুদকের পক্ষ থেকে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতির পাশাপাশি পৌর কর বিভাগের তিন কর্মকর্তার সম্পদের অনুসন্ধানও শুরু করেছে। এসব তৎপরতার মুখে অভিযুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পক্ষ থেকে আত্মসাৎ করা ৬৭ লাখ টাকা ফেরতও দেওয়া হয়েছে।দুদকের কর্মকর্তারা বলছেন, ২০১৪ সাল থেকে ওই অপকর্ম চলেছে। আর পৌরসভার কর্মকর্তারা বলছেন- ২০১৬ সালের এপ্রিল থেকে পরবর্তী দুই বছর ট্যাক্সের টাকা আত্মসাতের ঘটনা ঘটেছে। দুদকের প্রাথমিক তদন্তে এ অপকর্মে ১৫ কর্মকর্তা-কর্মচারীর সম্পৃক্ততা মিলেছে। তবে পৌরসভার পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে নয়জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে বগুড়া পৌরসভার তৎকালীন সচিব ইমরোজ মুজিবকে জেলার শেরপুর পৌরসভায় বদলি করা হয়েছে। এ ছাড়া পৌরসভার বাজার আদায়কারী একেএম আকিল আহম্মেদ মোমিন ও সহকারী কর নির্ধারক রায়হানুজ্জামানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। আর আলমগীর রহমান, মশিউর রহমান, মোসাদ্দেক হোসেন, বেলাল হোসেন, সাখাওয়াত হোসেন ও মাসুদ সরকার কনকের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে। সংস্থাটির কর বিভাগের আরও ছয় কর্মকর্তা শফিউল আলম, জামিল মজুমদার, জাহাঙ্গীর আলম, আলমগীর রহমান, হেফজুল বারী ও সারওয়ার জাহানের সম্পৃক্ততার বিষয়টি দুদক খতিয়ে দেখছে বলে জানা গেছে।তদন্ত-সংশ্নিষ্টরা বলছেন, অভিযুক্তরা দু'ভাবে ট্যাক্সের টাকা আত্মসাৎ করেছেন। প্রথমত, তারা রসিদ বইয়ের গ্রাহকের কপিতে জমা করা টাকার পরিমাণ সঠিক লিখলেও নিচের কার্বন কপিতে কম লিখতেন। দ্বিতীয়ত, ভুয়া জমা বই ছাপিয়ে গ্রাহকদের কাছ থেকে আদায় করা পুরো টাকাই নিজেদের পকেটে ভরতেন। এভাবে আত্মসাৎ করা টাকা অভিযুক্তরা নির্ধারিত পার্সেন্টেজে নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নিতেন।এদিকে, অনুসন্ধানকালে তাদের অর্থ ভাগাভাগির একটি নথি সমকালের হাতে এসেছে। কম্পিউারে তৈরি ওই শিটে ট্যাক্স হিসেবে আদায় করা টাকার মধ্যে পৌরসভার সচিব থেকে কর বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে কে কত পার্সেন্ট পকেটে তুলবেন তার উল্লেখ করা হয়েছে। তাতে সবচেয়ে বেশি ৩৫ পার্সেন্ট সচিবকে দেওয়ার কথা উল্লেখ রয়েছে। ওই নথিতে দেখা গেছে, ২০১৭ সালের ৪ ডিসেম্বর (১৩৭৭০ ও ৩৪১২৬ নং শিটে) ট্যাক্স হিসেবে আদায় করা ৪৭ হাজার ৮৯৬ টাকার মধ্যে পৌরসভায় জমা করা হয়েছে ৫৬ দশমিক ২১ শতাংশ বা ২৬ হাজার ৯২৬ টাকা। বাদবাকি ২০ হাজার ৯৫১ টাকা নিজেরা আত্মসাৎ করেছেন।বগুড়া পৌরসভার প্যানেল মেয়র শামছুদ্দিন শেখ হেলাল জানান, কর শাখায় যে দুর্নীতি হচ্ছে সেটা প্রথমদিকে তারা বুঝতে পারেননি। একদিন এক দুর্নীতিবাজ কর্মচারী বাসায় গিয়ে তাকে ৫০ হাজার টাকা দিতে চাইলে তার সন্দেহ হয়।তিনি বলেন, 'কর বিভাগের একজন কর্মচারী কেন আমাকে এতগুলো টাকা দিতে এসেছে। সে এ টাকা পেল কোথায়। ওই চিন্তাভাবনা থেকেই আমি অনুসন্ধান করে জানতে পারলাম, তারা দীর্ঘদিন ধরে জনগণের ট্যাপের টাকা আত্মসাৎ করে আসছে।'শামসুদ্দিন শেখ হেলাল বলেন, 'ওই ঘটনার আর যাতে কোনো দুর্নীতি না হয় সেজন্য আমরা পৌরসভায় ব্যাংকের বুথ স্থাপন করে তাতে ট্যাপের টাকা জমার ব্যবস্থা করেছি। এতে আগের তুলনায় ট্যাপ আদায়ের হারও কয়েকগুণ বেড়েছে।'দুদক বগুড়া জেলা সমন্বিত কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক তদন্তে ৯০ লাখ টাকা আত্মসাতের প্রমাণ মিলেছে। তিনি বলেন, আমরা মামলার জন্য সবকিছু চূড়ান্ত করছি।অপর সহকারী পরিচালক রবীন্দ্রনাথ চাকী বলেন, 'পৌর কর বিভাগের তিন কর্মকর্তার সম্পদের অনুসদ্ধান করা হচ্ছে। এরই মধ্যে তাদের তলবও করা হয়েছিল।বগুড়া পৌরসভার মেয়র অ্যাডভোকেট একেএম মাহবুবর রহমান জানান, ট্যাক্সের টাকা আত্মসাতের ওই ঘটনা বিলম্বে জানতে পারলেও প্রাথমিক তদন্তে জড়িতদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তাছাড়া এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালকের দপ্তর এবং দুদকও পৃথকভাবে তদন্ত করছে। জড়িদের কাউকে ছাড়া হবে না।যোগাযোগ করা হলে বগুড়া পৌরসভার তৎকালীন সচিব ইমরোজ মুজিব ট্যাক্সের টাকা আত্মসাতের ঘটনায় তার সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করেছেন। সমকালকে তিনি বলেন, 'আমি দুর্নীতি বন্ধে পদক্ষেপ নিয়েছিলাম বলেই আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হয়েছে।'সাময়িক বরখাস্ত হওয়া পৌরসভার বাজার কর আদায়কারী একেএম আকিল আহম্মেদ মোমিনের সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, 'আমি টেলিফোনে কোনো কথা বলব না, সাক্ষাতে কথা বলব।' | বগুড়া পৌরসভা, ট্যাক্স, আত্মসাৎ |
মির্জা ফখরুলসহ বিএনপির ৩ নেতার জামিন | প্রকাশ: ০১ অক্টোবর ২০১৯ | ০৮:৪৯ | প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকির অভিযোগে দায়ের করা মামলায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের শীর্ষ তিন নেতাকে জামিন দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার ঢাকার মহানগর হাকিম সত্যব্রত শিকদারের আদালতে আত্মসমর্পণমূলক জামিনের আবেদন করেন তারা। এরপর বিচারক ৫ হাজার টাকা মুচলেকায় তা মঞ্জুর করেন। অপর দুই নেতা হলেন- দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন এবং গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।মঙ্গলবার আদালতে তাদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, মাসুদ আহম্মেদ তালুকদার, সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ ও হান্নান ভূঁইয়া প্রমুখ। বাদীপক্ষে জামিনের বিরোধিতা করেন আইনজীবী আবুল কালাম আজাদ। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক জামিনের এ আদেশ দেন।শুনানিতে আইনজীবীরা বলেন, এ মামলায় আসামিরা হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়েছেন। হাইকোর্ট বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন। হাইকোর্টের আদেশ অনুযায়ী আসামিরা আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেছেন। আসামিদের বিরুদ্ধে গুরুতর কোন অভিযোগ নেই। তাছাড়া মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অসুস্থ, তারপরও আদালতের নির্দেশ মোতাবেক তিনি আত্মসমর্পণ করেছেন। আমরা আসামিদের জামিনের প্রার্থনা করছি।এর আগে হাইকোর্ট মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে ৬ সপ্তাহের জামিন দিয়ে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের আদেশ দেন। সে অনুযায়ী তারা আত্মসর্মর্পণ করেন।প্রসঙ্গত, গত ৫ আগষ্ট বাংলাদেশ জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এবি সিদ্দিকী বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। এরপর আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। এই তিনজন ছাড়া বিএনপির আরও নেতা এ মামলার আসামি।গত ২৩ জুলাই বুয়েটের শিক্ষক হাফিজুর রহমান রানা রেজিস্ট্রিযোগে বাদীকে একটি চিঠি পাঠান। চিঠিতে আগামী ১৫ আগষ্ট আইএস দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের সদস্যদের হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। | মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন , গয়েশ্বর চন্দ্র রায় |
এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের সেপ্টেম্বরের বেতন ব্যাংকে | প্রকাশ: ০১ অক্টোবর ২০১৯ | ০৮:৫৭ | বেসরকারি স্কুল ও কলেজের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারিদের সেপ্টেম্বরের বেতন ভাতার সরকারি অংশের টাকার ৮টি চেক সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে পাঠিয়েছেমাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। মাউশির সাধারণ প্রশাসন শাখারউপ-পরিচালক মো. রুহুল মমিন স্বাক্ষরিত এক তথ্য বিজ্ঞপ্তিতে মঙ্গলবার এতথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরাধীন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারিদের বেতনভাতা বণ্টনকারী অগ্রণী ও রূপালীব্যাংক, প্রধান কার্যালয়ে এবং জনতা ও সোনালী ব্যাংকের স্থানীয় কার্যালয়েহস্তান্তর করা হয়েছে। আগামী ১০ অক্টোবর তারিখ পর্যন্ত শিক্ষক-কর্মচারিরাতাদের নিজ নিজ ব্যাংকের হিসাব নম্বরের মাধ্যমে বেতনভাতার টাকা তুলতেপারবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। | মাউশি, শিক্ষকদের বেতন |
উখিয়ায় চাঞ্চল্যকর চার খুনের রহস্য উদঘাটন! | প্রকাশ: ০১ অক্টোবর ২০১৯ | ০৮:৫৭ | কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলায় সংখ্যালঘু বড়ূয়া পরিবারে চার খুনের ঘটনায় পুলিশের তদন্ত চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। সংশ্নিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, চাঞ্চল্যকর এ খুনের সঙ্গে জড়িত খুনিকে শনাক্ত করা গেছে। দু-একদিনের মধ্যে পুলিশের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে সাংবাদিকদের অবহিত করা হবে।সংশ্নিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার একাধিক টিম এ হত্যার রহস্য উন্মোচনে কাজ করে যাচ্ছে। এর মধ্যে পুলিশ, র্যাব, পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ও গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা রয়েছেন। প্রাপ্ত আলামত এবং বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত বিশ্নেষণ করে এ ঘটনায় সন্দেহভাজন বেশ কয়েকজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য নিয়ে পুলিশ খুনিকে শনাক্ত করতে পেরেছে।সংশ্নিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, একই পরিবারের চার সদস্যকে খুনের ঘটনায় তিন-চারজন জড়িত। তাদের সঙ্গে ওই পরিবারের নিকটাত্মীয়ও রয়েছে। তাদের পুলিশের নজরদারিতে রাখা হয়েছে। সূত্র জানায়, ডাকাতির পরিকল্পনা খুনির ছিল না। বাড়িতে টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার থাকলেও কোনো মালপত্র খোয়া যায়নি। কুয়েত প্রবাসী রোকেন বড়ুয়ার মা খুন হওয়া সখি বড়ুয়ার গলায় দুই ভরি ওজনের স্বর্ণের চেইন থাকলেও খুনি তাও নেয়নি। কিন্তু বাড়ির আলমারির ড্রয়ারসহ আসবাবপত্র তছনছ করা হয়েছে। পুলিশের ধারণা, খুনের ঘটনাকে ভিন্নদিকে দৃষ্টি সরানোর জন্য বাড়ির মালপত্র তছনছ করেছে খুনিরা।তদন্তের সঙ্গে সংশ্নিষ্ট এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বৃদ্ধ সখি বড়ূয়া তার এক সন্তান অনিষ বড়ূয়াকে প্রতিদিন খাবার রান্না করে দিয়ে আসেন। চিরকুমার অনিষ পাশের বাড়িতে থাকলেও মায়ের রান্না করা খাবারে তার জীবন চলে। ওই দিন রাতেও খাবার দিতে যান সখি বড়ূয়া। এ সময় দরজা খোলা পেয়ে ঘাতকদের একজন বাড়িতে প্রবেশ করে লুকিয়ে থাকে। রাতেই বাড়িতে দুই শিশুসহ সখি বড়ূয়া ও গৃহবধূ মিলা বড়ূয়াকে হত্যা করে ছাদের দরজা দিয়ে বের হয়ে যায়।ওই কর্মকর্তা জানান, ছাদের দরজা ভেতর থেকে খোলা হয়েছে। গাছের একটি ডাল ধরেই ছাদ থেকে ঘাতকরা নেমে গেছে। ওই গাছের ভাঙা একটি ডালও আলামত হিসেবে নিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তারা। বাড়ির পেছনে ধানক্ষেতে রয়েছে খুনিদের পায়ের চিহ্ন। ধারণা করা হচ্ছে, এখান দিয়ে খুনিরা পালিয়ে গেছে। ওই কর্মকর্তা জানান, কোট বাজার স্টেশনে সিসি ক্যামেরায় ধারণকৃত ভিডিও ফুটেজ দেখে এক খুনিকে শনাক্ত করা গেছে।ওই কর্মকর্তা আরও জানিয়েছেন, এ হত্যার সঙ্গে জড়িত তিনজন পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে হত্যার মোটিভ জানা গেছে। হত্যাকারীদের বক্তব্যের সঙ্গে বিভিন্ন আলামত উদ্ধারে কাজ করছে পুলিশ। প্রাপ্ত সব তথ্য-উপাত্ত নিশ্চিত হয়ে আগামী দু-একদিনের মধ্যে গণমাধ্যমের সামনে ঘাতকদের হাজির করা হবে।মামলার তদন্ত প্রসঙ্গে কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন সমকালকে বলেন, 'আমরা সন্দেহজনকভাবে কাউকে অভিযুক্ত করতে চাই না। কোনো নির্দোষ মানুষ অহেতুক এ ঘটনায় হয়রানির শিকার হবেন না। হত্যাকারী কে বা কারা, কী উদ্দেশ্যে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে সে সম্বন্ধে নিশ্চিত হয়েই ঘাতকদের আইনের আওতায় আনতে চাই।'উখিয়া উপজেলার রত্নাপালং ইউনিয়নের পূর্ব রত্নাপালং গ্রামে গত ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে প্রবাসী রোকেন বড়ুয়ার বাড়িতে তার মা সখি বড়ুয়া (৬৫), স্ত্রী মিলা বড়ুয়া (২৫) একমাত্র ছেলে রবিন বড়ুয়া (৫) ও ভাতিজি সনি বড়ুয়াকে (৫) গলা কেটে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় নিহত মিলা বড়ুয়ার বাবা শশাঙ্ক বড়ুয়া বাদী হয়ে উখিয়া থানায় মামলা করেন। মামলায় সুনির্দিষ্ট কাউকে আসামি করা হয়নি।রোকেন বড়ুয়া কুয়েত থেকে সোমবার রাতে দেশে ফিরেছেন। স্বজনদের সৎকার শেষ করে তিনি এখন বাড়িতেই অবস্থান করছেন। বাড়িতে সার্বক্ষণিক পুলিশ পাহারা রয়েছে। | কক্সবাজার, উখিয়া, সংখ্যালঘু বড়ূয়া পরিবার, খুনের রহস্য উদঘাটন |
অভিযান শুরু যখন করেছি শেষ দেখে নেব: কাদের | প্রকাশ: ০১ অক্টোবর ২০১৯ | ০৮:৫৯ | আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে অভিযান যখন শুরু হয়েছে, এর শেষটাও দেখে নেওয়া হবে। ভবিষ্যতে তদন্তে চিহ্নিত দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী দেশে ফেরায় এখন এই অভিযানের ফরম্যাট ও অ্যাকশন প্রোগ্রাম আরও স্পষ্ট হয়ে উঠবে।মঙ্গলবার সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী ভোরবেলা দেশে ফিরেছেন। তিনি আভাস দিয়েছেন এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।এ সময় অভিযানের সম্ভাব্য তালিকায় কতজন রয়েছে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, তালিকার বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলতে পারবে। তবে সারাদেশে যারা এ ধরনের অপরাধ অপকর্ম করবে, তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।আওয়ামী লীগ গত ১১ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকলেও এখন কেন অভিযানের প্রয়োজন পড়লো- এমন প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, সরকার নজরদারিতে রেখেছে, লক্ষ্য করেছে। একটি অভিযোগ তথ্যপ্রমাণসহ স্পষ্ট না হলে কারো বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যায় না। তথ্যপ্রমাণ হাতে পেলে পর্যায়ক্রমে সব অপরাধীকে শাস্তি পেতে হবে। তিনি বলেন, এ শুদ্ধি অভিযান অপরাধীদের বিরুদ্ধে-বিশেষ কোনো দল কিংবা ব্যক্তির বিরুদ্ধে নয়। এ অভিযানে কেবল আওয়ামী লীগের দুর্নীতি নয়, অতীতে যারা ক্ষমতায় ছিল, তাদের কে দুর্নীতি করে কতটা সম্পদের মালিক হয়েছেন, সেটাও দেখা হবে।আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, একমাত্র আওয়ামী লীগই এই সৎ সাহস দেখাচ্ছে যে, দলের লোক হলেও অপরাধকে ক্ষমা করা হয় না। বিএনপি আমলে একজনকেও এরকম শাস্তি পেতে হয়নি। অতীতে কেউ ক্ষমতায় থেকে শুদ্ধি অভিযান করেনি, যেটা শেখ হাসিনা করছেন।ঢাকার ক্লাবে অবৈধ ক্যাসিনো পরিচালনার সঙ্গে যুবলীগ নেতা ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের নাম এলেও তাকে ছাড় দেওয়া হচ্ছে কি না- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, কাউকে ছাড় দেওয়া হবে- এমন কোনো কথা তো বলা হয়নি। তদন্ত করে উপযুক্ত প্রমাণ নিয়ে কাউকে গ্রেপ্তার করার মত অবস্থা হলে অবশ্যই গ্রেপ্তার করা হবে। তা হলে কি সম্রাটের বিরুদ্ধে কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি? - এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, 'যিনি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে আছেন, সেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিজেই তো বলেছেন, ওয়েট অ্যান্ড সি। কাজেই একটু অপেক্ষা করেন। এত তাড়াহুড়ো করছেন কেন?'অভিযান প্রসঙ্গে বিএনপি নেতাদের সমালোচনার জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় থাকতে অনেক নেতাই দুর্নীতি করে বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন, নানা সন্ত্রাসী কার্যক্রমে জড়িত থেকেছেন। কিন্তু কারও বিরুদ্ধে শাস্তি নিশ্চিত করার নজির বিএনপি দেখাতে পারবে না। এ অভিযানে দেশবাসী সন্তুষ্ট। এতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাবমূর্তি বেড়েছে। আর তা বিএনপি সহ্য করতে পারছে না বলেই ভালো কাজের সমালোচনা করছে।মন্ত্রী-এমপিদের সম্পদের হিসাব প্রকাশ করার জন্য বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের দাবি প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, তিনি নিজের সম্পত্তির হিসাব আগে দিন। কী কারণে তার বাড়ি চলে গেল? মৃত ব্যক্তির নামে ভূয়া কাগজ আদালতে জমা দিয়ে বাড়ির মালিকানা দাবি করেছেন। প্রমাণ হয়েছে তিনি দুর্নীতি করেছেন। দুর্নীতির অভিযোগে তিনি সাজাও ভোগ করেছেন। তার কত সম্পদ আছে সেটাও জানা দরকার। তিনি বলেন, সরকারের মন্ত্রীরা প্রতিবছরই প্রধানমন্ত্রীর কাছে সম্পদ ও ট্যাক্স প্রদানের হিসাব দেন। কোনো এমপি কিংবা মন্ত্রী অবৈধ সম্পদ অর্জন কিংবা ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে থাকলে সেটাও গণমাধ্যমকর্মীরা তুলে ধরতে পারেন।পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধি সম্পর্কে সেতুমন্ত্রী বলেন, এদেশে কোনো অজুহাত পেলেই দাম বাড়ানোর প্রবণতা রয়েছে। তবে ভারত রপ্তানি বন্ধ করার পর সেটিকে অবলম্বন করে পিঁয়াজের দাম বেড়েছে কি না, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় তা খতিয়ে দেখবে। | সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় |
পদত্যাগ 'করবেন না' জাবি উপাচার্য, আন্দোলনকারীরাও অনড় | প্রকাশ: ০১ অক্টোবর ২০১৯ | ০৯:১৫ | আপডেট: ০১ অক্টোবর ২০১৯ | ০৯:২০ | জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামকে নিয়ে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে। আন্দোলনকারীরা তার পদত্যাগের দাবিতে অনড় থাকলেও উপাচার্য বলছেন, তিনি পদত্যাগ করবেন না। উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানার বিরুদ্ধে উন্নয়ন প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগে তুলে তার পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা মঙ্গলবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে তাকে 'লাল কার্ড' দেখান। উপাচার্যকে পদত্যাগেরআল্টিমেটামের শেষ দিনে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা। উপাচার্য পদত্যাগ না করায় বুধবার থেকে দুই দিন সর্বাত্মকধর্মঘট কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেন আন্দোলনকারীরা। তবে পদত্যাগ না করার ব্যাপারে পূর্বের অবস্থানে অনড় থাকার কথা জানিয়েছেনউপাচার্য ফারজানা ইসলাম। উপাচার্যপন্থি শিক্ষকরাও বিবৃতি দিয়ে মানববন্ধনকর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। মঙ্গলবার দুপুরে উপাচার্য তার কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পদত্যাগকরবেন না বলে জানান। তিনি বলেন, 'বিচার-বিভাগীয় তদন্তের যে দায়িত্ব আমাকেআন্দোলনকারীরা দিয়েছে, সেটি অযৌক্তিক। আমি নিজের বিরুদ্ধে তদন্তকরতে বা চাইতে পারিনা। এটি সরকার অথবা বিচার বিভাগ চিন্তা করবে। এখানেঅযৌক্তিক দাবি নিয়ে আমাকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগে আহ্বান করা হচ্ছে।''দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর' ব্যানারে 'লাল কার্ড' প্রদর্শনেরসময় আন্দোলনকারীদের মুখপাত্র দর্শন বিভাগের অধ্যাপক রায়হান রাইন বলেন, উপাচার্যকে আমরা আজকের মধ্যে স্বেচ্ছায় পদত্যাগের আহ্বানজানিয়েছিলাম। কিন্তু উপাচার্য আজকের মধ্যে পদত্যাগ না করলে আমরা তারবিরুদ্ধে কাল থেকে সর্বাত্মক আন্দোলনে যাবো। এর অংশ হিসেবে আগামী দুইদিন (বুধ বার ও বৃহস্পতিবার) সর্বাত্মক ধর্মঘট পালন করা হবে।'এ সময় শিক্ষকদের মধ্যে, অধ্যাপক আব্দুল জব্বার হাওলাদার, জামাল উদ্দিন,মির্জা তাসলিমা সুলতানাসহ জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোট, ছাত্র ইউনিয়ন,ছাত্র ফ্রন্ট, সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের বিশ্ববিদ্যালয় শাখারনেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।এদিকে দুর্নীতির অভিযোগকে মিথ্যা আখ্যা দিয়ে পাল্টা কর্মসূচি ঘোষণাকরেছেন উপাচার্যপন্থি শিক্ষকরা। মঙ্গলবার উপাচার্যপন্থি শিক্ষকদের সংগঠন'বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদ'র পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বুধবার মানববন্ধনও বৃহস্পতিবার দিনব্যাপি জনসংযোগের কর্মসূচি জানানো হয়। | জাবি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় |
ঢাকায় বাস চালাতে দৈনিক চাঁদা দিতে হয় ২২০০ টাকা | প্রকাশ: ০১ অক্টোবর ২০১৯ | ০৯:১৮ | ঢাকা মহানগরের অভ্যন্তরীণ পথে এবং রাজধানী থেকে দূরপাল্লার বাস চালাতে প্রতিদিন চাঁদা দিতে হয় এক হাজার ২০০ থেকে দুই হাজার ২০০ টাকা। মালিক ও শ্রমিক সমিতির নামে এ চাঁদাবাজি চলছে। প্রতিদিন এক কোটি ৬৫ লাখ টাকা চাঁদা ওঠে ঢাকায়। এক দশক আগেও বাসপ্রতি দৈনিক চাঁদা দিতে হতো ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা।নবগঠিত সংগঠন সড়ক পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য লীগের সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়। মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন হয়।লিখিত বক্তব্যে চাঁদাবাজির জন্য মালিকদের সংগঠন সড়ক পরিবহন সমিতিকে দায়ী করা হয়। এ সময় চাঁদাবাজি বন্ধসহ ৯ দফা দাবি জানিয়ে বলা হয়, একজন 'গডফাদার' সমিতিকে নিয়ন্ত্রণ করছেন। তিনি গত কয়েক বছরে নিজস্ব পরিবহন সংস্থার ব্যানারে শত শত বাস নামিয়েছেন। মালয়েশিয়া, কানাডা ও থাইল্যান্ডে বিপুল সম্পদ পাচার করেছেন।সংগঠনের সদস্য সচিব ইসমাইল হোসেন বাচ্চু সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে দাবি করেন, সড়ক পরিবহন সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ ও তার অনুসারীরা চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণ করছেন। ঐক্য লীগের নেতাদের দাবি, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সহসভাপতি খন্দকার এনায়েত সংগঠনে 'অনুপ্রবেশকারী'। খন্দকার এনায়েত যুক্তরাষ্ট্রে থাকায় এসব অভিযোগের বিষয়ে তার বক্তব্য জানতে পারেনি সমকাল।ইসমাইল হোসেন বাচ্চু দাবি করেন, এখনও পরিবহন খাতের নিয়ন্ত্রণ বিএনপি-জামায়াত নেতাদের হাতে। তারা সায়েদাবাদ, মহাখালী, গাবতলী ও ফুলবাড়িয়া টার্মিনাল কমিটি নিয়ন্ত্রণ করছেন। তাদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতাও রয়েছেন। তাদের অপসারণ করা না গেলে পরিবহন খাতে নৈরাজ্য দূর হবে না।সদস্য সচিব অভিযোগ করেন, গাড়ির কাগজপত্র দেখার নামে পুলিশ প্রতিদিন চালক-মালিকদের হয়রানি করছে। এ হয়রানি বন্ধের দাবি জানানো হয়।সংবাদ সম্মেলনে চাঁদাবাজি বন্ধ, টার্মিনালগুলো থেকে 'পিস্তল বাহিনী' উৎখাত, পরিবহন শ্রমিকদের মাসিক বেতনে নিয়োগ, চালকদের সহজে লাইসেন্স দেওয়া, দৈনিক আট ঘণ্টা কর্মঘণ্টা নির্ধারণ ও টার্মিনালে বিশ্রামাগার নির্মাণসহ ৯ দফা দাবি জানানো হয়। ঐক্য লীগের আহ্বায়ক এম শাহ আলম, যুগ্ম আহ্বায়ক মোজাহারুল ইসলাম সোহেল ও নজরুল ইসলাম মন্টু, সদস্য বদিউজ্জামান মন্টু প্রমুখ সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেন। | গণপরিবহন, চাঁদাবাজি |
চাকরিপ্রত্যাশীর স্ত্রীকে রাবি প্রোভিসি বলেন, 'কত টাকা দিতে প্রস্তুত' | প্রকাশ: ০১ অক্টোবর ২০১৯ | ০৯:২৭ | আপডেট: ০১ অক্টোবর ২০১৯ | ১০:০০ | রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উপ-উপাচার্য (প্রোভিসি) অধ্যাপক চৌধুরী মো. জাকারিয়ার সঙ্গে এক চাকরিপ্রত্যাশীর স্ত্রীর মোবাইল ফোনে কথপোকথনের একটি অডিও ফাঁস হয়েছে।সোমবার রাতে ৫৫ সেকেন্ডের এ অডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। কথপোকথনে কত টাকা দিতে প্রস্তুত, চাকরি প্রত্যাশীর স্ত্রীকে এমন প্রশ্ন করেন অধ্যাপক জাকারিয়া। এছাড়াও তিনি তাকে আশ্বস্ত করে বলেন- 'উপরে আল্লাহ তায়ালা আর নিচে আমি'।অডিওটি এই প্রতিবেদকের হাতে এসেছে। দু'জনের কথপোকথনটি হুবহু তুলে ধরা হলো-অধ্যাপক জাকারিয়া: হ্যাঁ, সাদিয়া (চাকরিপ্রত্যাশীর স্ত্রী)। আমি প্রফেসর জাকারিয়া, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর।সাদিয়া: আসসালামু আলাইকুম স্যার।অধ্যাপক জাকারিয়া: ওয়ালাইকুমুস সালাম। আচ্ছা মা, একটা কথা বলতো, আমার খুব শুনতে ইচ্ছা, তোমরা কয় টাকা দেওয়ার জন্য রেডি?সাদিয়া: স্যার, সত্যি কথা বলতে...অধ্যাপক জাকারিয়া: না না, সত্যি কথাই তো বলবা। উপরে আল্লাহ তায়ালা, নিচে আমি।সাদিয়া: অবশ্যই, অবশ্যই। স্যার, আপনি যেহেতু তার অবস্থা জানেন, আরেকটা বিষয় এখানে স্যার, সেটা হচ্ছে, আপনি হুদার (সাদিয়ার স্বামী)... মানে, এমনিতে সে কতটা স্ট্রিক আপনি বোধহয় এটাও জানেন স্যার, একটু রগচটা ছেলে।অধ্যাপক জাকারিয়া: আচ্ছা রাখো রাখো, এখান থেকে কথা বলা যাবে না। ... এরপর ফোনটি কেটে যায়।খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে প্রভাষক পদে তিনজনকে নিয়োগের জন্য জাতীয় ও স্থানীয় দৈনিকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়। এতে নুরুল হুদা নামে একজন আবেদন করেন। তিনি বিভাগের সাবেক ছাত্র এবং তার স্ত্রী সাদিয়া একই বিভাগের চতুর্থ বর্ষে পড়েন।বিভাগ সূত্রে জানা যায়, নুরুল হুদা স্নাতকে সিজিপিএ ৩.৬৫ ও স্নাতকোত্তরে ৩.৬০ পান। আইন অনুষদে সেরা হওয়ায় ২০১৭ সালে তিনি বিশ্ববিদ্যালয় স্বর্ণপদক এবং পরের বছর প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক পান। তার বাড়ি উপ-উপাচার্য চৌধুরী মো. জাকারিয়ার এলাকা লালমনিরহাটে।বিভাগ সূত্রে আরও জানা যায়, তিনটি প্রভাষক পদের বিপরীতে মোট আবেদন করেন ৪১ জন। তাদের মধ্যে ৯ জনের স্নাতক (সম্মান) পর্যায়ে সিজিপিএ ৩.৫০ বা এর উর্ধ্বে রয়েছে। স্নাতকোত্তর পর্যায়ে ৩৩ জন আবেদনকারীর ফল ৩.৫০ বা এর উর্ধ্বে। গত বছরের ১৩ নভেম্বর নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ১৭ নভেম্বর সিন্ডিকেট সভায় নিয়োগ অনুমোদন হয়। বিভাগে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পান সাইমুন তুহিন নামে একজন। নিয়োগের কিছুদিন পর তার সঙ্গে অধ্যাপক জাকারিয়ার মেয়ের বিয়ে হয়। নিয়োগ পাওয়া অন্য দু'জন হলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নুরুল ইসলাম ঠান্ডুর মেয়ে নূর নূসরাত সুলতানা ও বিভাগের সাবেক ছাত্রী বনশ্রী রাণী। নিয়োগপ্রাপ্তরা সিন্ডিকেট সভার পরদিনই বিভাগে যোগদান করেন।বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন সিন্ডিকেট সদস্যের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, নিয়োগ বোর্ডে ৫ জন প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। বোর্ডে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক জাকারিয়াও ছিলেন। এছাড়াও উপাচার্য অধ্যাপক এম আবদুস সোবহান, আইন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক আবদুল হান্নান, সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ডা. রুস্তম উদ্দিন আহমেদ ও এক্সপার্ট হিসেবে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক শাহজাহান মন্ডল উপস্থিত ছিলেন।আইন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক আবদুল হান্নান বলেন, নিয়োগ বোর্ডে বিভাগের সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলাম। বোর্ডে ফলাফলের ভিত্তিতে যোগ্যদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সিন্ডিকেটের এক সদস্য অভিযোগ করেন, 'নিয়োগ বোর্ড ও তার আগেই (ব্যক্তিগত প্রভাবে) ঠিক হয়- কে নিয়োগ পাবে। সিন্ডিকেটে চূড়ান্ত নির্বাচিতদের উপস্থাপন করা হয়। এখানে সদস্যরা শুধু সম্মতি দেয় এবং তাদের যোগ্যতা দেখে। নিয়োগ নিয়ে সিন্ডিকেটে যা হয়, তাকে আসলে এক ধরনের তামাশা বলা চলে।'নিয়োগ বোর্ডের এপপার্ট ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক শাহজাহান মন্ডল সমকালকে বলেন, 'নিয়োগ বোর্ড বসার আগে আমাকে কয়েকজন শিক্ষক বলেছিল সতর্ক থাকতে। এখানে আর্থিক লেনদেন হতে পারে। আমরা সতর্ক ছিলাম। নিয়োগ নিয়ে আগে কোনো ধরনের আর্থিক লেনদেনের চুক্তি হয়েছিল কি-না জানি না।' নুরুল হুদার আবেদনের বিষয়টি তারও জানা আছে বলে জানান অধ্যাপক মণ্ডল। তবে হুদা স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী এটা তার জানা ছিল না বলে জানান।নিয়োগ বোর্ডের এক্সপার্টকে সতর্ক থাকতে বলা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র এক অধ্যাপক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, 'বিভিন্ন মাধ্যম থেকে তথ্য এসেছিল নিয়োগটি নিয়ে আর্থিক লেনদেন হচ্ছে। এমন সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে আমি উনাকে সতর্ক থাকতে বলেছিলাম। একজন নিয়োগ পেতে আর্থিক লেনদেন করেছিল বলে জেনেছিলাম, তবে ওই প্রার্থীর ফল ভালো না থাকায় নিয়োগ হয়নি।' তবে নুরুল হুদার সঙ্গে আর্থিক লেনদেনের বিষয়ে তার কাছে কোনো তথ্য নেই বলে জানান তিনি।উপ-উপাচার্যের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথপোকথনকারী সাদিকাকে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি তা ধরেননি।নুরুল হুদার ফোনে কল করা হলে কোনো মন্তব্য করতে চান না বলে সংযোগ কেটে দেন। এরপর তাকে একাধিকবার কল করলেও তিনি আর ধরেননি।তবে ফাঁস হওয়া রেকর্ডকে আংশিক ও খন্ডিতভাবে উপস্থাপন করে তার সম্মানহানির চেষ্টা করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক জাকারিয়া। এ ব্যাপারে তিনি তার বক্তব্য সাংবাদিকদের কাছে মেইল করেন। অধ্যাপক জাকারিয়া তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, 'নুরুল হুদা দরিদ্র পরিবারের সন্তান। তার ছাত্র জীবনের শুরু থেকে আমি স্থানীয় অভিভাবক হিসেবে দেখভাল করছি। তার লেখাপড়া চলমান রাখতে তাকে দু'টি স্কলারশিপের ব্যবস্থা করে দিয়েছিলাম। চাকরির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানতে পারি, হুদা চাকরি পেতে অসাধু কিছু ব্যক্তির কবলে পড়ে আর্থিক লেনদেনে জড়িয়ে পড়েছে। নীলফামারীর সৈয়দপুরে ইসলামী ব্যাংকে টাকা জমা দেওয়ার একটি স্লিপও আমাদের নজরে আসে। স্থানীয় অভিভাবক হিসেবে তার এহেন অসাধুকর্ম রোধকল্পে খোঁজ নেওয়ার জন্য তার স্ত্রীকে ফোন দিয়েছিলাম। কারণ হুদার স্ত্রীর বাড়ি সৈয়দপুরে। হুদার স্ত্রী সে সময় ব্যাংক লেনদেনের বিষয়টি স্বীকারও করে, তবে বিস্তারিত বলতে রাজি হয়নি।'স্বর্ণপদক পাওয়া শিক্ষার্থী নুরুল হুদার নিয়োগ কেন হলো না, এমন প্রশ্নে উপ-উপাচার্য বলেন, হুদার টাকার লেনদেনের বিষয়টি নিয়োগ বোর্ড জেনে যায়। ফলে তারা আর তার বিষয়টি বিবেচনা করেনি।এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এম আবদুস সোবহান। | চাকরিপ্রত্যাশী, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, উপ-উপাচার্য, অধ্যাপক চৌধুরী মো. জাকারিয়া, অভিও ফাঁস |
মাদকের মামলায় একজনের যাবজ্জীবন | প্রকাশ: ০১ অক্টোবর ২০১৯ | ০৯:২৯ | রাজধানীর মতিঝিল থেকে ২৫ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধারের ঘটনায় মিন্টু নামে এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ঢাকার তিন নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মনির কামাল আসামির অনুপস্থিতিতে মঙ্গলবার এ রায় দেন। পলাতক থাকায় মিন্টুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানা অনাদায়ে তাকে আরো ৩ মাস কারাভোগ করতে হবে। মিন্টু রাজধানীর গেন্ডারিয়ার ২৭/৩ করাতিতোলার বাসিন্দা। ২০১২ সালের ২৭ মার্চ মতিঝিল থানা এলাকায় মিন্টুর কাছ থেকে ২৫ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করে ডিবি পুলিশ। এ ঘটনায় ডিবি পুলিশের এসআই রুহুল আমিন মুন্সী মতিঝিল থানায় তার বিরুদ্ধে মামলা করেন। ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ফজলুল হক মামলাটি তদন্ত করে ওই বছরের ১২ মে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। বিচারকাজ চলাকালে আদালত চার্জশিটভুক্ত ১৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ৫ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। | যাবজ্জীবন, দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল, মাদকের মামলা |
ফারাক্কায় ডুবছে উত্তরাঞ্চল | প্রকাশ: ০১ অক্টোবর ২০১৯ | ০৯:৩৪ | বর্ষা মৌসুমের শেষ সময় ভারতের ফারাক্কা ব্যারাজের সব কয়টি গেট খুল দেওয়ায় গঙ্গা প্রবাহের পানি আঘাত হেনেছে বাংলাদেশের অংশ পদ্মায়। ভারতের উত্তরপ্রদেশ ও বিহারে রেকর্ড বৃষ্টিপাত হওয়ায় উপচে পড়ছে বাঁধের পানি। এ কারণে ফারাক্কা ব্যারাজের ১১৯টি গেট একযোগে খুলে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।এতে পদ্মায় আকস্মিক পানি বেড়ে দেশের উত্তরাঞ্চলের অনেক জেলার নিম্নাঞ্চল তলিয়ে গেছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন অর্ধলক্ষাধিক মানুষ। ফসলের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ঈশ্বরদীর পাকশী হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে মঙ্গলবার ১৬ বছর পর পদ্মার পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন উপজেলার দুই ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষ। চাঁপাইনবাবগঞ্জে পদ্মার পানি বিপৎসীমার নিচে থাকলেও প্লাবিত হচ্ছে বিভিন্ন নিম্নাঞ্চল। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা হয়েছে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে। এ উপজেলার চিলমারী ও রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের ৩৮ গ্রামের ১০ হাজার পরিবারের প্রায় ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দি রয়েছেন। আগের দিন সোমবার বিকেলে ফিলিপনগর ও মরিচা ইউনিয়নের কয়েকটি স্থানে বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ উপচে পানি লোকালয়ে প্রবেশ করছে। রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় বাড়িঘরে পানি ঢুকে যাওয়া মানুষজন নিরাপদ আশ্রয়ে ছুটছেন। পদ্মার পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে রাজবাড়ী পয়েন্টেও। ফলে সদর উপজেলার বেশ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। সমকালের সংশ্লিষ্ট এলাকার প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-ঈশ্বরদী (পাবনা): পাবনা পাউবো হাইড্রোলজি বিভাগের উত্তরাঞ্চলীয় নির্বাহী প্রকৌশলী কেএম জহুরুল হক জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় পদ্মার পাকশী হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে পানি বেড়েছে ১৪ সেন্টিমিটার। মঙ্গলবার সকাল ১০টায় বিপৎসীমা ১৪ দশমিক ২৫ সেন্টিমিটার অতিক্রম করেছে। এ কারণে ঈশ্বরদী উপজেলার লক্ষ্মীকুণ্ডা ও সাহাপুর ইউনিয়নের ৫-৬টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। চরকুড়ূলিয়া, সাহাপুর, মাধপুর, কামালপুর, কৈকুণ্ডা, লক্ষ্মীকুণ্ডা গ্রামের বসতবাড়িও জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। তলিয়ে গেছে ১ হাজার হেক্টর জমির ফসল।পাবনা জেলা প্রশাসক কবীর মাহমুদ এ প্রতিবেদককে মোবাইল ফোনে বলেন, পদ্মার পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করার আগে থেকেই তারা সতর্ক দৃষ্টি রাখছেন। ইতিমধ্যে স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ ও কৃষকদের বিষয়ে খোঁজ-খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।চাঁপাইনবাবগঞ্জ: সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। দুপুর পর্যন্ত পদ্মার পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানিয়েছে, যে কোনো সময় পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করে নতুন এলাকা প্লাবিত হতে পারে। জেলা পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী সাহিদুল ইসলাম জানান, দুপুর ১২টা পর্যন্ত পদ্মা নদী বিপৎসীমার ৪১ সেন্টিমিটার এবং মহানন্দা ৩৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ দু'টি নদীর বিপৎসীমা যথাক্রমে ২২ দশমিক ৫০ ও ২১ সেন্টিমিটার।ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক একেএম তাজকির-উজ-জামান জানান, বন্যাকবলিত দুই উপজেলার মানুষের জন্য সংশ্নিষ্ট মন্ত্রণালয়ে শুকনো খাবারের চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে।কুষ্টিয়া ও দৌলতপুর: পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় উপজেলায় নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। ইতিমধ্যে দেড় হাজারের অধিক পরিবারের বাড়িঘরে পানি ঢুকে পড়েছে। চিলমারী ও রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের ৩৮ গ্রামের ১০ হাজার পরিবারের প্রায় ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছেন। তলিয়ে গেছে প্রায় দুই হাজার হেক্টর জমির ফসল। সোমবার বিকেলে ফিলিপনগর ও মরিচা ইউনিয়নের কয়েকটি স্থানে বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ পেরিয়ে পানি লোকালয়ে ঢুকে পড়েছে। এলাকাবাসী বালির বস্তা দিয়ে বাঁধ রক্ষার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। এ ছাড়া উপজেলার মরিচা ইউনিয়নের বৈরাগীরচর এলাকায় বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে পানি প্রবেশ করে বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে।কুষ্টিয়ার পাউবো সূত্রে জানা গেছে, পদ্মার হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে গড়ে প্রতিদিন ১০ থেকে ১২ সেন্টিমিটার পানি বাড়ছে। সর্বশেষ পদ্মার পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এর প্রধান শাখা গড়াই নদীতেও অব্যাহতভাবে পানি বাড়ছে। মঙ্গলবার বিকেল ৫টায় গড়াইয়ের পানি প্রবাহিত হচ্ছিল ১২ দশমিক ৩৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে। পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী পীযূষ কৃষ্ণ কুণ্ডু বলেন, এ মুহূর্তে পদ্মার পানি বিপৎসীমার কয়েক সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে দৌলতপুর উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নের পর ভেড়ামারা উপজেলার মোসলেমপুরে পানি ঢুকছে। এ ছাড়া কুষ্টিয়া শহর, কুমারখালী ও খোকসার কিছু এলাকায় পানি প্রবেশ করে ক্ষয়ক্ষতি বাড়তে পারে।মরিচা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান শাহ আলমগীর জানান, তার ইউনিয়নের ভুরকা এলাকায় স্লুইস গেট ভেঙে পদ্মার পানি প্রবেশ করায় বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। দুপুরে বন্যাকবলিত রামকৃষ্ণপুর ও চিলমারী ইউনিয়নের বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন স্থানীয় এমপি অ্যাডভোকেট আ.কা.ম. সরওয়ার জাহান বাদশা ও কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক আসলাম হোসেন। তারা বন্যাদুর্গত ১৫শ' পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন।জেলা প্রশাসক আসলাম হোসেন বলেন, সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে প্রতি ঘণ্টায় বন্যা পরিস্থিতি মনিটরিং করা হচ্ছে। আমাদের একাধিক টিম ঘটনাস্থলে আছে। পর্যাপ্ত ত্রাণ প্রস্তুত। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করে প্রতিনিয়ত রিপোর্ট পাঠানো হচ্ছে। আশা করি, বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হবে না।রাজশাহী ও বাঘা: পানিতে থইথই করছে উঠান, বারান্দা। আঙিনায় বইছে স্রোত। ঘরের ভেতর বুকপানি। পানিতে ভিজে গেছে চাল-ডাল, বিছানা-বালিশ। ঘর থেকে ভেজা কাপড়ে আসবাবপত্র ও সন্তানকে নিয়ে বের হয়ে এলেন ভানু বেগম। ঘরের বাইরে নৌকা নিয়ে অপেক্ষা করছেন স্বামী লিটন শিকদার। পদ্মার পানিতে তলিয়ে যাওয়া বসতঘরে পাঁচ দিন ধরে বন্দি থাকার পর নৌকায় অন্যত্র আশ্রয়ের খোঁজে ছুটছেন তারা। মঙ্গলবার দুপুরে পানিবন্দি লিটন-ভানু দম্পতির মতো রহিমা বেগম, সিদ্দিক, কমেলা, আজিজালসহ অনেকেরই দুর্ভোগের এ চিত্র দেখা গেছে রাজশাহীর চকরাজাপুর ইউনিয়নের পদ্মার চরে। এই ইউনিয়নের চৌমাদিয়া, আতারাড়া, দিয়াড়কাদিরপুর, পলাশিফতেপুর, নীচপলাশি, দাদপুর, লক্ষ্মীনগর. চকরাজাপুর, কালিদাশখালীসহ ১৫টি গ্রামের কয়েকশ' বসতবাড়ি তলিয়ে গেছে। বিকেল ৩টায় পদ্মার পানি রাজশাহীতে বিপৎসীমার ৪১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়।পাউবো রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের দায়িত্বে থাকা নির্বাহী প্রকৌশলী শহিদুল আলম জানান, শহর রক্ষা বাঁধের ভেতরে পানি ঢোকার কোনো আশঙ্কা নেই। তবে বাঁধের বাইরে নদীর ভেতরে তালাইমারিসহ শহরের কিছু এলাকায় থাকা বস্তিতে পানি উঠেছে। পরিবারগুলো বাড়ি ছাড়তে বাধ্য হয়েছে।নদী গবেষক মাহবুব সিদ্দিকী বলেন, নদীকে তার স্বাভাবিক গতিতে প্রবাহিত হতে দেওয়া উচিত। ভারত ফারাক্কা বাঁধ দিয়ে এখন নিজেরাই ডুবে মরছে। তাদের এই চরম বিপদের সময়ে ফারাক্কার গেট খুলে দেওয়ায় আমরাও বিপদে পড়েছি। এই বাঁধের কারণে আমাদের দেশের শত শত নদীর চিহ্ন এখন হারিয়ে গেছে। এখন হঠাৎ ধেয়ে আসা পানি এই নদীগুলো আর নিতে পারছে না।রাজবাড়ী: জেলা পাউবোর উপসহকারী প্রকৌশলী হাফিজুর রহমান জানান, মঙ্গলবার রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের ভাগ্যকুল পয়েন্টে পদ্মার পানি ৫ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এখানে বিপৎসীমার লেভেল ৮ দশমিক ৬৫ সেন্টিমিটার। প্রবাহিত হচ্ছে ৮ দশমিক ৭২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে। তিনি জানান, পানি বেড়ে যাওয়ায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। আগামী তিন-চার দিন পানি আরও বাড়তে পারে। তবে পানি বাড়লেও স্রোতের গতি কমে গেছে। ফলে নদীভাঙনের আশঙ্কা নেই।জেলা প্রশাসক দিলসাদ বেগম জানান, তারা ইউএনও ও পাউবো কর্মকর্তাদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছেন। পরিস্থিতি নিয়মিত মনিটরিং করা হচ্ছে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরির জন্য সংশ্নিষ্ট ইউএনওদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। | ফারাক্কা, বন্যা, পদ্মা |
দেশে উন্মুক্ত স্থানে মলত্যাগ শূন্যের কোটায়: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী | প্রকাশ: ০১ অক্টোবর ২০১৯ | ০৯:৪১ | দেশে উন্মুক্ত স্থানে মলত্যাগের হার প্রায় শূন্যের কোটায় নেমে এসেছে উল্লেখ করে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেছেন, তবে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) সূচকে নিরাপদ পয়ঃব্যবস্থাপনায় ম্যানেজড স্যানিটেশনে কিছুটা পিছিয়ে আছে। দেশের সকল জনগোষ্ঠীকে নিরাপদ পয়ঃব্যবস্থাপনায় আওতায় আনতে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থা ও উদ্যোক্তা সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।মঙ্গলবার রাজধানীর জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল ইনস্টিটিউটে স্যানিটেশন মাসের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন।'সকলের জন্য উন্নত স্যানিটেশন, নিশ্চিত হোক সুস্থ জীবন' প্রতিপাদ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগ আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য। সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব জহিরুল ইসলাম, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী সাইফুর রহমান এবং বাংলাদেশে জাতিসংঘ শিশু তহবিল (ইউনিসেফ)-এর শিক্ষা শাখার প্রধান শিরীন মোক্তার।স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, স্যানিটেশন উন্নয়ন একটি চলমান প্রক্রিয়া। শুধু অক্টোবর মাসেই নয়, বছরব্যাপী ব্যাপক প্রচারের মাধ্যমে দেশের জনগণের মধ্যে স্যানিটেশন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও স্বাস্থ্য শিক্ষা বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির চেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। সকলের সর্বাত্মক সহযোগিতা, স্বাস্থ্যসম্মত ও উন্নত স্যানিটেশনের এ সামাজিক আন্দোলনকে কাঙ্ক্ষিত সাফল্যের দিকে এগিয়ে নেবে। মন্ত্রী স্যানিটেশন সংক্রান্ত বিষয়াবলি পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্তির ব্যাপারেও গুরুত্বারোপ করেন।প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য বলেন, দেশের প্রধানতম উন্নয়ন চ্যালেঞ্জ পানি ও স্যানিটেশন সংক্রান্ত রোগ সংক্রমণের হার কমিয়ে এনে স্বাস্থ্যসম্মত পানি ও স্যানিটেশন সুবিধাদির প্রাপ্যতা নিশ্চিত করা। এ ক্ষেত্রে 'জাতীয় স্যানিটেশন মাস' উদযাপন বিশেষ ভূমিকা রাখবে। | এসডিজি, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা, স্থানীয় সরকারমন্ত্রী |
গণরুম সংকট সমাধানে ১৫ দিনের আলটিমেটাম | প্রকাশ: ০১ অক্টোবর ২০১৯ | ০৯:৪৬ | ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) গণরুম সংকট সমাধানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানকে ১৫ দিনের আলটিমেটাম দিয়েছেন বিভিন্ন হলের গণরুমের শিক্ষার্থীরা। সংকটের সমাধান না করা হলে গণরুমের শিক্ষার্থীরা উপাচার্য ভবনে গিয়ে উঠবেন বলেও হুমকি দেওয়া হয়।মঙ্গলবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে গণরুমের সমস্যার সমাধান ও নবীন শিক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করে ভর্তির দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধনে এ কথা বলেন শিক্ষার্থীরা।মানববন্ধনে শিক্ষার্থীদের নেতৃত্ব দেন ডাকসুর সদস্য তানভীর হাসান সৈকত। সেখানে তিনি বলেন, গণরুম টিকিয়ে রাখার মধ্য দিয়ে ক্ষমতাসীন ছাত্র সংগঠনগুলো ফায়দা লোটে। গণরুমকে দাসত্বের কারখানায় পরিণত করা হয়েছে। উপাচার্যের উদ্দেশে তিনি বলেন, ১৫ দিনের মধ্যে যদি গণরুম সমস্যার কোনো যৌক্তিক সমাধান না নেওয়া হয়, তাহলে গণরুমবাসী উপাচার্যের বাসায় গিয়ে থাকতে শুরু করবেন। ১৫ দিনের এদিক-ওদিক হবে না।মানববন্ধনে অংশ নেওয়া অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী 'আমরা এখন চুপসে গেছি, জ্ঞানশূন্য কালো মাছি', 'গণরুমের বঞ্চনা, মানি না মানব না', 'প্রথমবর্ষ থেকে বৈধ সিটের অধিকার চাই' ইত্যাদি লেখা সংবলিত প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন।এদিকে, মানববন্ধনে ১৫ দিনের আলটিমেটামের পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছেন ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নুর। তিনি বলেন, সংকটের আশু সমাধান না করলে শুধু উপাচার্যের বাসভবনে নয়, শিক্ষার্থীদের হল প্রাধ্যক্ষ, আবাসিক শিক্ষকসহ যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক সুবিধা ভোগ করেন, তাদের বাসভবনেও গিয়ে ওঠার আহ্বান জানাব। | ঢাবি, গণরুম সংকট |
পরিবহন আইন শিথিল হলে কাজে আসবে না: ইলিয়াস কাঞ্চন | প্রকাশ: ০১ অক্টোবর ২০১৯ | ০৯:৪৯ | আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০১৯ | ০৬:২৫ | নিরাপদ সড়কের দাবিতে আড়াই দশক ধরে আন্দোলন করা চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন বলেছেন, সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ শিথিল হলে, তা জনকল্যাণে কাজে আসবে না। কারো চাপে আইন শিথিল না করে, বিধিমালা করে দ্রুত কার্যকর করার দাবি জানিয়েছেন নিরাপদ সড়ক চাই'র (নিসচা) চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন।মঙ্গলবার প্রেস ক্লাবে নিসচা'র সংবাদ সম্মেলনে ইলিয়াস কাঞ্চন এসব কথা বলেন। আগামী ২২ অক্টোবর জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস। এ উপলক্ষে মাসব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। গত বছর নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের নজিরবিহীন আন্দোলনের মুখে সংসদে পাস হয় বহুল আলোচিত সড়ক পরিবহন আইন। এতে ট্রাফিক আইন ভঙ্গে সাজা জরিমানা বাড়ানো হয়েছে। বছর খানেক পাস হলেও, আইনটি এখনো কার্যকর হয়নি। পরিবহন মালিক শ্রমিকরা বলছেন, আইনটি অনেক কঠোর।তাদের দাবিতে আইন করার ইঙ্গিত এসেছে সরকারের তরফ থেকে। তবে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এ খবর নাকচ করেছেন। নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলন করে একুশে পদক পাওয়া ইলিয়াস কাঞ্চন বলেছেন, কোনো গোষ্ঠীর স্বার্থে আইনে যেনো কাটাছেঁড়া না করা হয়। অনেক যুদ্ধ, অনেক ত্যাগ-তিতিক্ষার পর এই আইন হয়েছে। ২০১২ সালে আইনটি পাস করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। তবে যখনই আইন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়, তখনই একটি গোষ্ঠী জনগণকে জিম্মি করে বাধা দিচ্ছিল। গত বছর শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের কারণে বাধা দিতে পারেনি। এখন আবার সক্রিয় হয়েছে।সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন নিসচা'র মহাসচিব সৈয়দ এহসান উল হক কামাল, যুগ্ম মহাসচিব লিটন এরশাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম আজাদ প্রমুখ। | চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন |
এনআইডি জালিয়াতি: ইসির তিন কর্মচারী কারাগারে | প্রকাশ: ০১ অক্টোবর ২০১৯ | ০৯:৪৯ | রোহিঙ্গাদের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) জালিয়াতির মামলায় চট্টগ্রামে নির্বাচন কমিশন (ইসি) অফিসের তিন ডাটা এন্ট্রি অপারেটরকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।মঙ্গলবার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট খায়রুল আমিনের আদালত এ আদেশ দেন। তিন আসামি হলেন- কোতোয়ালি থানার ডাটা এন্ট্রি অপারেটর মো. শাহীন, বন্দর থানার ডাটা এন্ট্রি অপারেটর মো. জাহিদ এবং ডবলমুরিং থানার ডাটা এন্ট্রি অপারেটর পাভেল বড়ূয়া।মহানগর পুলিশের সিনিয়র সহকারী কমিশনার কাজী শাহাবুদ্দিন আহমেদ বলেন, কাউন্টার টেররিজম ইউনিট দু'দিন করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তিন আসামিকে আদালতে পাঠায়। শুনানি শেষে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।২২ সেপ্টেম্বর রাতে কাউন্টার টেররিজম ইউনিট এক নারীসহ চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে আসে। ঘটনার সঙ্গে তিনজনের জড়িত থাকায় তাদের গ্রেফতার করা হয়। তারা হলেন- শাহীন, জাহিদ ও পাভেল বড়ূয়া। তারা আউটসোর্সিংয়ের ভিত্তিতে নিয়োগ পেয়ে অস্থায়ীভাবে কর্মরত আছেন।গত ১৬ সেপ্টেম্বর রাতে নগরীর ডবলমুরিং থানা নির্বাচন কার্যালয়ের অফিস সহায়ক জয়নাল আবেদিনসহ তিনজনকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেন জেলা নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তারা। বাকি দু'জন হলেন জয়নালের বন্ধু বিজয় দাশ ও তার বোন সীমা দাশ ওরফে সুমাইয়া। জয়নালের হেফাজতে থাকা নির্বাচন কমিশনের একটি ল্যাপটপও উদ্ধার করা হয়, যেটি বিজয় ও সীমার কাছে ছিল। রাতেই ডবলমুরিং থানা নির্বাচন কর্মকর্তা পল্লবী চাকমা বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় পাঁচজনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন। | এনআইডি, জাতীয় পরিচয়পত্র, ইসি, নির্বাচন কমিশন |
রাষ্ট্রপতি দু'দিনের সফরে খুলনায় | প্রকাশ: ০১ অক্টোবর ২০১৯ | ০৯:৫৭ | রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদদু'দিনের সফরে খুলনায় পৌঁছেছেন। মঙ্গলবার বিকেলে হেলিকপ্টারে নৌবাহিনীরঘাঁটি বানৌজা তিতুমীরে অবতরণ করেন তিনি। বুধবার নৌঘাঁটি তিতুমীরকে'ন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড' দেওয়ার অনুষ্ঠানে যোগদান শেষে ঢাকায় ফিরে যাবেনরাষ্ট্রপতি।রাষ্ট্রপতির খুলনা সফর ঘিরে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাপকপ্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। রাষ্ট্রপতির নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রেসিডেন্টগার্ড রেজিমেন্টের সদস্যরা একদিন আগেই খুলনায় পৌঁছেন। এ ছাড়া খুলনামেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকেও কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।নৌঘাঁটিতিতুমীর সূত্র জানিয়েছে, মঙ্গলবার বিকেলে খুলনায় পৌঁছানোর পর সন্ধ্যাসাড়ে ৭টায় নৌবাহিনী আয়োজিত সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা ও নৈশভোজে অংশ নিয়েছেনরাষ্ট্রপতি। বুধবার সকাল ১০টায় বানৌজা তিতুমীরকে ন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড(জাতীয় পতাকা) দেবেন রাষ্ট্রপতি।বাংলাদেশ নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ওনাবিকদের গুরুত্বপূর্ণ প্রশিক্ষণ এবং অপারেশনাল ও লজিস্টিক কাজে অনন্যসহায়তাদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বানৌজা তিতুমীরকে এই ন্যাশনাল স্টান্ডার্ডদেওয়া হবে। | রাষ্ট্রপতি, মো. আবদুল হামিদ |
জনকল্যাণ নিশ্চিত হলে সহজ হবে এসডিজি অর্জন: স্পিকার | প্রকাশ: ০১ অক্টোবর ২০১৯ | ১০:০০ | জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) অর্জনে এমপিদের নিজ নির্বাচনী এলাকায় কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করতে হবে। এই কর্মপরিকল্পনা নিতে হবে জনগণের সার্বিক কল্যাণ বিবেচনায় নিয়ে। জনগণের কল্যাণ নিশ্চিত হলে এসডিজি অর্জন সহজ হবে।মঙ্গলবার সংসদ ভবনের শপথ কক্ষে সংসদ সদস্যদের জন্য এসডিজি বাস্তবায়ন বিষয়ক 'ব্রেইন স্টর্মিং সেশনে' প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্পিকার এ কথা বলেন। এসডিজি অর্জনে সংসদীয় আসনভিত্তিক ট্র্যাকারকে (কনস্টিটিউয়েন্সি ট্র্যাকার) উদ্ভাবনী উদ্যোগ উল্লেখ করে তিনি বলেন, এর মাধ্যমে আসনভিত্তিক এসডিজির অগ্রগতি সহজেই নিরূপণ সম্ভব হবে। সংসদ সদস্যদের নিয়ে এসডিজি সেল গঠনের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন তিনি।সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব ড. জাফর আহমেদ খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও অংশ নেন ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া, ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি সুদীপ্ত মুখার্জী, ইউএনডিপির এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের ফোকাল পয়েন্ট চার্লস স্যুভেল, ইউএনডিপির কলসালট্যান্ট ও বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি ও একসেস টু ইনফরমেশন প্রোগ্রামের রমিজ উদ্দিন।সংসদ ও এমপিদের কাজের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে এমন মন্তব্য করে স্পিকার বলেন, সুশাসন নিশ্চিত করতে এমপিদের দায়িত্বও বেড়েছে। নিজেদের সক্ষমতা বাড়িয়ে সুশাসন প্রতিষ্ঠা এবং এসডিজি অর্জনে গতিশীলতা আনতে আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, মানুষের জীবনমান উন্নয়নে সরকার ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে, যা এসডিজি অর্জনে সহায়ক ভূমিকা রাখছে। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন অধ্যাপক আলী আশরাফ এমপি, আ ফ ম রুহুল হক এমপি, আ স ম ফিরোজ এমপি, শামসুল হক টুকু এমপি, রুস্তম আলী ফরাজি এমপি এবং মেহের আফরোজ এমপি। | জাতীয় সংসদের স্পিকার, ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী , এসডিজি |
নিরব, তিশা, ঐশী, সাবা ও বেলি আফরোজের শুভেচ্ছা | প্রকাশ: ০১ অক্টোবর ২০১৯ | ১০:০৬ | আপডেট: ১৯ ডিসেম্বর ২০২১ | ০৫:০২ | ১৫ বছরে সমকাল |
|
সমকাল স্বাধীনতার কথা বলে: মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী | প্রকাশ: ০১ অক্টোবর ২০১৯ | ১০:১২ | আপডেট: ১৯ ডিসেম্বর ২০২১ | ০৫:০৩ | ১৫ বছরে সমকাল |
|
ভারত যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী, রোহিঙ্গা-তিস্তা ইস্যুতে হবে আলোচনা | প্রকাশ: ০১ অক্টোবর ২০১৯ | ১০:২০ | আপডেট: ০১ অক্টোবর ২০১৯ | ১১:২৭ | প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার চার দিনের সফরে ভারত যাচ্ছেন। সফরকালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন তিনি। এ সফরে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ও তিস্তার পানি বণ্টন নিয়ে আলোচনা হবে। পাশাপাশি দু'দেশের মধ্যে যোগাযোগ, সংস্কৃতি, বাণিজ্য, বিনিয়োগ খাতসহ আটটি সমঝোতা স্মারক সই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। খবর বাসসের ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী মঙ্গলবার জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইন্ডিয়ান ইকোনমিক ফোরামে যোগ দিতে চার দিনের সফরে বৃহস্পতিবার সকালে নয়াদিল্লি পৌঁছাবেন। ওই ফোরামে তিনি বিশেষ করে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়াসহ বাংলাদেশের সাম্প্রতিক অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির বিষয় তুলে ধরবেন। এ ছাড়া তিনি ভারতের তিনটি চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ নেতাদের সঙ্গে শুক্রবার যৌথভাবে বৈঠক ও মতবিনিময় করবেন। তিনি ভারতের বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে আরও বিনিয়োগেরও আহ্বান জানাবেন।হাইকমিশনার আরও জানান, দু'দেশের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে ৫ অক্টোবর দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হবে। বৈঠকে তিস্তা, রোহিঙ্গা ইস্যুসহ সব বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে। শনিবার সকাল সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ঐতিহাসিক হায়দরাবাদ হাউসে এ বৈঠক হবে। পরে মোদির দেওয়া মধ্যাহ্নভোজে যোগ দেবেন শেখ হাসিনা। বিকেলে তিনি ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।এ ছাড়া রোববার ভারতের কংগ্রেস পার্টির প্রধান সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গেও বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওইদিন বিকেলে দেশের উদ্দেশে নয়াদিল্লি ত্যাগ করবেন তিনি। | প্রধানমন্ত্রী, রোহিঙ্গা ইস্যু, তিস্তা ইস্যু, ভারত সফর, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা |
সেলিম প্রধানের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট স্থগিত | প্রকাশ: ০১ অক্টোবর ২০১৯ | ১০:২১ | আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০১৯ | ০৬:২৫ | অনলাইনে ক্যাসিনো, টেন্ডারবাজি, অস্ত্র চোরাচালান, চেক জালিয়াতিসহ বিভিন্নঅপরাধে অভিযুক্ত সেলিম প্রধান ও তার পরিবারের সদস্যদের অ্যাকাউন্ট স্থগিত (ফ্রিজ )করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়ালইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) থেকে চিঠি দিয়ে আগামী ৩০ দিনের জন্যঅ্যাকাউন্ট ফ্রিজ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।দুর্নীতি ও অবৈধ ক্যাসিনোর বিরুদ্ধে চলমান অভিযানের মধ্যে এ নিয়ে অন্তত ২৫জনের অ্যাকাউন্ট ফ্রিজের তথ্য মিলেছে। সোমবার দুপুরে রাজধানীর হযরতশাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সেলিম প্রধানকে আটক করে র্যাব।থাইল্যান্ডগামী থাই এয়ারওয়েজের ফ্লাইটে সেলিম প্রধান ব্যাংকক যাচ্ছিলেন।ধারণা করা হচ্ছে, চলমান অভিযানের মধ্যে দেশ ছেড়ে পালাচ্ছিলেন তিনি।বিএফআইইউর চিঠিতে বলা হয়েছে, সেলিম প্রধান তার বাবা হান্নান প্রধান ও মাহাসিনা বেগমের নামে বা তাদের স্বার্থসংশ্নিষ্ট কোনো অ্যাকাউন্ট থাকলে আগামী৩০ দিনের জন্য ফ্রিজ বা অবরুদ্ধ রাখতে হবে। বর্তমানে বা এর আগে এসবব্যক্তির স্বার্থসংশ্নিষ্ট কোনো অ্যাকাউন্ট পরিচালিত হয়ে থাকলে সে বিষয়েতথ্য দিতে বলা হয়েছে। মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ২৩(১)(গ) ধারায় প্রদত্তক্ষমতা বলে আগামী ৩০ দিনের জন্য তাদের অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ রাখতে বলা হয়েছে।সেলিম প্রধান জাপান বাংলাদেশ প্রিন্টিং করপোরেশনের স্বত্বাধিকারী। বেশ আগেথেকে তিনি রাষ্ট্রীয় মালিকানার রূপালী ব্যাংকের ঋণখেলাপি। এর পরও বিভিন্নব্যাংক তার প্রতিষ্ঠান থেকে চেকসহ বিভিন্ন নিরাপত্তা ডকুমেন্ট ছাপাত। নানাউপায়ে প্রভাব খাটিয়ে তিনি এসব কাজ বাগিয়ে নিতেন বলে অভিযোগ রয়েছে। | সেলিম প্রধান, জুয়া, ক্যাসিনো |
'বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া সম্পর্ক আরও এগিয়ে নেওয়ার সম্ভাবনা আছে' | প্রকাশ: ০১ অক্টোবর ২০১৯ | ১০:২৪ | আপডেট: ০১ অক্টোবর ২০১৯ | ১০:২৫ | বাংলাদেশে নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার জুলিয়া নিবলেট বলেছেন, অস্ট্রেলিয়া দ্বিপক্ষীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশের সঙ্গে 'দৃঢ়ভাবে' কাজ চালিয়ে যাচ্ছে এবং যাবে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে দু'দেশের মধ্যে সহযোগিতার সম্পর্ক আরও এগিয়ে নেওয়ার উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে। মঙ্গলবার স্থানীয় একটি হোটেলে কসমস সংলাপের অ্যাম্ব্যাসাডর লেকচার সিরিজের আওতায় 'বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া সম্পর্ক :ভবিষ্যতের জন্য পূর্বাভাস' শীর্ষক এক আলোচনায় অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার এসব কথা বলেন। কসমস গ্রুপের সংস্থা কসমস ফাউন্ডেশন এ সংলাপের আয়োজন করে।ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুরের ইনস্টিটিউট অব সাউথ এশিয়ান স্টাডিজের (আইএসএএস) প্রিন্সিপাল রিসার্চ ফেলো ড. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংলাপে স্বাগত বক্তব্য দেন কসমস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এনায়েতুল্লাহ খান।অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়ার ভবিষ্যৎ সম্পর্ক সংক্ষেপে তিনটি শব্দ দিয়ে ব্যাখ্যা করা যায়। তা হচ্ছে- প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা, বাস্তবসম্মত এবং জনবান্ধব উদ্যোগ। তিনি বলেন, এর বাইরে আরও অনেক ক্ষেত্র রয়েছে, যেখানে অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশের সঙ্গে দৃঢ়ভাবে কাজ করতে পারে। রোহিঙ্গা সংকট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ সংকট মোকাবেলায় বাংলাদেশের সঙ্গে আছে অস্ট্রেলিয়া। সমাধানের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে কাজ করছে। | জুলিয়া নিবলেট, অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার |
নিখোঁজের চার দিন পর ইয়াবাসহ আটক দেখাল পুলিশ | প্রকাশ: ০১ অক্টোবর ২০১৯ | ১০:৩১ | নিখোঁজের চার দিন পর খুলনা নগরীর টুটপাড়া এলাকার ফয়সাল খানকে ২০০ পিস ইয়াবাসহ আটক দেখিয়েছে পুলিশ। মঙ্গলবার তাকে মাদক মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়।এর আগে গত ২৭ সেপ্টেম্বর ফয়সালকে রূপসার মৌভোগ এলাকা থেকে পুলিশ পরিচয়ে তুলে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করে তার পরিবার। পরদিন খুলনা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে ফয়সালের মা জায়েদা আক্তার ডলি অভিযোগ করেন, লবণচরা থানার এসআই হান্নান মোল্লা ও মিলন মৈত্র ফয়সালকে তুলে নিয়ে গেছে।তবে মঙ্গলবার দুপুরে লবণচরা থানার ওসি বায়েজিদ আকন সমকালকে বলেন, সোমবার রাতে নগরীর মতিয়াখালী খ্রিষ্টানপাড়া থেকে ২০০ পিস ইয়াবাসহ ফয়সালকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় এসআই হান্নান মোল্লা বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেছেন। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার ছয় দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে। ফয়সালের বিরুদ্ধে হত্যা, ডাকাতির প্রস্তুতিসহ ১১টি মামলা রয়েছে বলেও জানান তিনি।ফয়সালের মা জায়েদা আক্তার ডলি বলেন, ছেলে জীবিত রয়েছে, এতেই তিনি খুশি। | ইয়াবা, পুলিশ, গ্রেফতার |
শরতের বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতায় দুর্ভোগ | প্রকাশ: ০১ অক্টোবর ২০১৯ | ১০:৪১ | আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০১৯ | ০৬:২৫ | ছয় ঘণ্টায় মাত্র ৪৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত। এমন মৌসুমে একেবারেই স্বাভাবিক।কিন্তু শরতের সেই স্বাভাবিক বৃষ্টিতেই ভাসল রাজধানীর অনেক এলাকা।মঙ্গলবার এই বৃষ্টিতে রাজপথেওসৃষ্টি হলো থৈ থৈ অবস্থা। অলিগলিসহ শাখাসড়কেও উপচে পড়ল সেই দৃশ্য। আর তাতেইনগরজীবনে নেমে এলো সীমাহীন ভোগান্তি। অতিষ্ট হয়ে উঠল নগরবাসীর জীবন। দুপুরের প্রায় দুই ঘণ্টার টানা বর্ষণে রাজারবাগ, শান্তিনগর,ধানমন্ডি, সেগুনবাগিচা, মিরপুর এলাকায় বেশি জলাবদ্ধতা তৈরি হয়। সচিবালয়েরভেতরেও প্রায় কোমরসমান পানি জমে যায়। আবহাওয়া অফিস জানায়, ভোর ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত রাজধানীতেবৃষ্টিপাত হয়নি। তবে দুপুর ১২টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ৪৬ মিলিমিটারবৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। এই বৃষ্টিপাতও হয়েছে দুপুর পৌনে ১টা থেকে আড়াইটারমধ্যে। আবহাওয়া অফিস আগেই মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের আভাস দিয়েছিল। সেইবৃষ্টিপাতেই প্রধান সড়কগুলোতেও সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। ইঞ্জিনে পানি ঢুকেসিএনজি অটোরিকশা ও প্রাইভেট কারগুলো রাস্তার ভেতরেই বিকল হয়ে পড়ার দৃশ্যচোখে পড়ে। বৃষ্টির পানিতে রাস্তা সঙ্কুচিত হয়ে যাওয়ায় লেগে যায় তীব্র যানজট। সুযোগবুঝে রিকশা ও সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালকরা ইচ্ছেমতো ভাড়া হাঁকতে থাকেন।মেট্রো রেল প্রকল্প এলাকা দিয়ে চলাচলকারী পথচারী ও যানবাহনকে পড়তে হয়মহাবিড়ম্বনায়। কাদাপানিতে সয়লাব হয়ে যায় পুরো এলাকা। অনেক স্থানে রিকশাউল্টে কাদা-পানিতে একাকার হয়ে যান যাত্রীরাও। যানবাহন বিকল হওয়ার কারণেপুরো সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। রোকেয়া সরণির শেওড়াপাড়া থেকে মিরপুর ১০পর্যন্ত পুরো সড়ক তলিয়ে যায়। অনেক এলাকার পানির সাথে স্যুয়ারেজের লাইনেরবর্জ্য যুক্ত হয়ে যাওয়ায় সেসব এলাকায় দুঃসহ অবস্থা তৈরি হয়। রাজধানীরঝিগাতলা, ট্যানারি মোড়, শনিরআখড়া, রায়েরবাগ, মতিঝিল, যাত্রাবাড়ী, মানিকমিয়া এভিনিউ, কাকরাইল, বাড্ডা, কুড়িল, ভাটারা, আজিমপুর, মোহাম্মদপুর,শ্যামলী, কল্যাণপুর, মোহাম্মদপুর, বংশাল, আজিমপুর, লালবাগ, কমলাপুর,বাসাবো, মুগদাপাড়া, জুরাইনসহ বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়। ঢাকা ওয়াসা জানায়, বর্তমানে তাদের ড্রেনেজ ব্যবস্থায় প্রতি ঘণ্টায় ১৫ থেকে২০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হলে জলাবদ্ধতা তৈরি হওয়ার কথা নয়। কিন্তু স্বল্পসময়ের মধ্যে দ্রুত বর্ষণ হলে কিছুটা জলজট তৈরি হয়। হঠাৎ বৃষ্টি হলে পানিনিষ্কাশনের ক্যাসপিডগুলোর মুখে রাস্তার আবর্জনা আটকে পানি নিষ্কাশন বন্ধহয়ে যায়। তবে কিছু সময় পরই পানি নেমে গেছে। বৃষ্টির পর প্রায় প্রত্যেকটি সড়কে লেগে যায় তীব্র যানজট। পরিস্থিতি সামালদিতে হিমশিম খেতে হয় ট্রাফিক পুলিশকে। কয়েকটি রাস্তার সংযোগস্থলে এমনঅবস্থার সৃষ্টি হয় যে ট্রাফিক সদস্যকে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে অসহায়ের মতো দেখাছাড়া আর কিছুই করার ছিল না। ১০ মিনিটের পথ পেরুতে লেগে যায় কয়েক ঘণ্টা।বৃষ্টিতে অফিস শেষে ঘরমুখী নগরবাসীকে ফিরতে অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। যানজটের কারণেঅনেকে বাস থেকে নেমে হেঁটেই বাসার দিকে রওনা দেন। বৃষ্টির কারণে ভাড়া বাড়িয়ে দেয় শেয়াররাইডগুলোও। | বৃষ্টি, রাজধানীতে বৃষ্টি |