text
stringlengths
11
126k
title
stringlengths
1
182
__NOTOC__ ৭৮৫ গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জীর একটি সাধারণ বছর। ঘটনাবলী জানুয়ারি-মার্চ এপ্রিল-জুন জুলাই-সেপ্টেম্বর অক্টোবর-ডিসেম্বর অজানা/অমীমাংসিত তারিখের ঘটনাবলী জন্ম জানুয়ারি-মার্চ এপ্রিল-জুন জুলাই-সেপ্টেম্বর অক্টোবর-ডিসেম্বর মৃত্যু জানুয়ারি-মার্চ এপ্রিল-জুন জুলাই-সেপ্টেম্বর অক্টোবর-ডিসেম্বর বিষয়শ্রেণী:৭৮৫
৭৮৫
__NOTOC__ ৭৯৫ গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জীর একটি সাধারণ বছর। ঘটনাবলী জানুয়ারি-মার্চ এপ্রিল-জুন জুলাই-সেপ্টেম্বর অক্টোবর-ডিসেম্বর অজানা/অমীমাংসিত তারিখের ঘটনাবলী জন্ম জানুয়ারি-মার্চ এপ্রিল-জুন জুলাই-সেপ্টেম্বর অক্টোবর-ডিসেম্বর মৃত্যু জানুয়ারি-মার্চ এপ্রিল-জুন জুলাই-সেপ্টেম্বর অক্টোবর-ডিসেম্বর বিষয়শ্রেণী:৭৯৫
৭৯৫
__NOTOC__ ৮০৫ গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জীর একটি সাধারণ বছর। ঘটনাবলী জানুয়ারি-মার্চ এপ্রিল-জুন জুলাই-সেপ্টেম্বর অক্টোবর-ডিসেম্বর অজানা/অমীমাংসিত তারিখের ঘটনাবলী জন্ম জানুয়ারি-মার্চ এপ্রিল-জুন জুলাই-সেপ্টেম্বর অক্টোবর-ডিসেম্বর মৃত্যু জানুয়ারি-মার্চ এপ্রিল-জুন জুলাই-সেপ্টেম্বর অক্টোবর-ডিসেম্বর বিষয়শ্রেণী:৮০৫
৮০৫
__NOTOC__ ৮১৫ গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জীর একটি সাধারণ বছর। ঘটনাবলী জানুয়ারি-মার্চ এপ্রিল-জুন জুলাই-সেপ্টেম্বর অক্টোবর-ডিসেম্বর অজানা/অমীমাংসিত তারিখের ঘটনাবলী জন্ম জানুয়ারি-মার্চ এপ্রিল-জুন জুলাই-সেপ্টেম্বর অক্টোবর-ডিসেম্বর মৃত্যু জানুয়ারি-মার্চ এপ্রিল-জুন জুলাই-সেপ্টেম্বর অক্টোবর-ডিসেম্বর বিষয়শ্রেণী:৮১৫
৮১৫
__NOTOC__ ৮২৫ গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জীর একটি সাধারণ বছর। ঘটনাবলী জানুয়ারি-মার্চ এপ্রিল-জুন জুলাই-সেপ্টেম্বর অক্টোবর-ডিসেম্বর অজানা/অমীমাংসিত তারিখের ঘটনাবলী জন্ম জানুয়ারি-মার্চ এপ্রিল-জুন জুলাই-সেপ্টেম্বর অক্টোবর-ডিসেম্বর মৃত্যু জানুয়ারি-মার্চ এপ্রিল-জুন জুলাই-সেপ্টেম্বর অক্টোবর-ডিসেম্বর বিষয়শ্রেণী:৮২৫
৮২৫
__NOTOC__ ৮৩৫ গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জীর একটি সাধারণ বছর। ঘটনাবলী জানুয়ারি-মার্চ এপ্রিল-জুন জুলাই-সেপ্টেম্বর অক্টোবর-ডিসেম্বর অজানা/অমীমাংসিত তারিখের ঘটনাবলী জন্ম জানুয়ারি-মার্চ এপ্রিল-জুন জুলাই-সেপ্টেম্বর অক্টোবর-ডিসেম্বর মৃত্যু জানুয়ারি-মার্চ এপ্রিল-জুন জুলাই-সেপ্টেম্বর অক্টোবর-ডিসেম্বর বিষয়শ্রেণী:৮৩৫
৮৩৫
__NOTOC__ ৮৪৫ গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জীর একটি সাধারণ বছর। ঘটনাবলী জানুয়ারি-মার্চ এপ্রিল-জুন জুলাই-সেপ্টেম্বর অক্টোবর-ডিসেম্বর অজানা/অমীমাংসিত তারিখের ঘটনাবলী জন্ম জানুয়ারি-মার্চ এপ্রিল-জুন জুলাই-সেপ্টেম্বর অক্টোবর-ডিসেম্বর মৃত্যু জানুয়ারি-মার্চ এপ্রিল-জুন জুলাই-সেপ্টেম্বর অক্টোবর-ডিসেম্বর বিষয়শ্রেণী:৮৪৫
৮৪৫
__NOTOC__ ৮৫৬ গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জীর একটি অধিবর্ষ। ঘটনাবলী জানুয়ারি-মার্চ এপ্রিল-জুন জুলাই-সেপ্টেম্বর অক্টোবর-ডিসেম্বর অজানা/অমীমাংসিত তারিখের ঘটনাবলী জন্ম জানুয়ারি-মার্চ এপ্রিল-জুন জুলাই-সেপ্টেম্বর অক্টোবর-ডিসেম্বর মৃত্যু জানুয়ারি-মার্চ এপ্রিল-জুন জুলাই-সেপ্টেম্বর অক্টোবর-ডিসেম্বর বিষয়শ্রেণী:৮৫৬
৮৫৬
__NOTOC__ ৮৬৬ গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জীর একটি সাধারণ বছর। ঘটনাবলী জানুয়ারি-মার্চ এপ্রিল-জুন জুলাই-সেপ্টেম্বর অক্টোবর-ডিসেম্বর অজানা/অমীমাংসিত তারিখের ঘটনাবলী জন্ম জানুয়ারি-মার্চ এপ্রিল-জুন জুলাই-সেপ্টেম্বর অক্টোবর-ডিসেম্বর মৃত্যু জানুয়ারি-মার্চ এপ্রিল-জুন জুলাই-সেপ্টেম্বর অক্টোবর-ডিসেম্বর বিষয়শ্রেণী:৮৬৬
৮৬৬
__NOTOC__ ৮৭৬ গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জীর একটি অধিবর্ষ। ঘটনাবলী জানুয়ারি-মার্চ এপ্রিল-জুন জুলাই-সেপ্টেম্বর অক্টোবর-ডিসেম্বর অজানা/অমীমাংসিত তারিখের ঘটনাবলী জন্ম জানুয়ারি-মার্চ এপ্রিল-জুন জুলাই-সেপ্টেম্বর অক্টোবর-ডিসেম্বর মৃত্যু জানুয়ারি-মার্চ এপ্রিল-জুন জুলাই-সেপ্টেম্বর অক্টোবর-ডিসেম্বর বিষয়শ্রেণী:৮৭৬
৮৭৬
__NOTOC__ ৮৮৬ গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জীর একটি সাধারণ বছর। ঘটনাবলী জানুয়ারি-মার্চ এপ্রিল-জুন জুলাই-সেপ্টেম্বর অক্টোবর-ডিসেম্বর অজানা/অমীমাংসিত তারিখের ঘটনাবলী জন্ম জানুয়ারি-মার্চ এপ্রিল-জুন জুলাই-সেপ্টেম্বর অক্টোবর-ডিসেম্বর মৃত্যু জানুয়ারি-মার্চ এপ্রিল-জুন জুলাই-সেপ্টেম্বর অক্টোবর-ডিসেম্বর বিষয়শ্রেণী:৮৮৬
৮৮৬
__NOTOC__ ৮৯৬ গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জীর একটি অধিবর্ষ। ঘটনাবলী জানুয়ারি-মার্চ এপ্রিল-জুন জুলাই-সেপ্টেম্বর অক্টোবর-ডিসেম্বর অজানা/অমীমাংসিত তারিখের ঘটনাবলী জন্ম জানুয়ারি-মার্চ এপ্রিল-জুন জুলাই-সেপ্টেম্বর অক্টোবর-ডিসেম্বর মৃত্যু জানুয়ারি-মার্চ এপ্রিল-জুন জুলাই-সেপ্টেম্বর অক্টোবর-ডিসেম্বর বিষয়শ্রেণী:৮৯৬
৮৯৬
__NOTOC__ ৯০৬ গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জীর একটি সাধারণ বছর। ঘটনাবলী জানুয়ারি-মার্চ এপ্রিল-জুন জুলাই-সেপ্টেম্বর অক্টোবর-ডিসেম্বর অজানা/অমীমাংসিত তারিখের ঘটনাবলী জন্ম জানুয়ারি-মার্চ এপ্রিল-জুন জুলাই-সেপ্টেম্বর অক্টোবর-ডিসেম্বর মৃত্যু জানুয়ারি-মার্চ এপ্রিল-জুন জুলাই-সেপ্টেম্বর অক্টোবর-ডিসেম্বর বিষয়শ্রেণী:৯০৬
৯০৬
__NOTOC__ ৯১৬ গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জীর একটি অধিবর্ষ। ঘটনাবলী জানুয়ারি-মার্চ এপ্রিল-জুন জুলাই-সেপ্টেম্বর অক্টোবর-ডিসেম্বর অজানা/অমীমাংসিত তারিখের ঘটনাবলী জন্ম জানুয়ারি-মার্চ এপ্রিল-জুন জুলাই-সেপ্টেম্বর অক্টোবর-ডিসেম্বর মৃত্যু জানুয়ারি-মার্চ এপ্রিল-জুন জুলাই-সেপ্টেম্বর অক্টোবর-ডিসেম্বর বিষয়শ্রেণী:৯১৬
৯১৬
__NOTOC__ ৯২৬ গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জীর একটি সাধারণ বছর। ঘটনাবলী জানুয়ারি-মার্চ এপ্রিল-জুন জুলাই-সেপ্টেম্বর অক্টোবর-ডিসেম্বর অজানা/অমীমাংসিত তারিখের ঘটনাবলী জন্ম জানুয়ারি-মার্চ এপ্রিল-জুন জুলাই-সেপ্টেম্বর অক্টোবর-ডিসেম্বর মৃত্যু জানুয়ারি-মার্চ এপ্রিল-জুন জুলাই-সেপ্টেম্বর অক্টোবর-ডিসেম্বর বিষয়শ্রেণী:৯২৬
৯২৬
__NOTOC__ ৯৩৬ গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জীর একটি অধিবর্ষ। ঘটনাবলী জানুয়ারি-মার্চ এপ্রিল-জুন জুলাই-সেপ্টেম্বর অক্টোবর-ডিসেম্বর অজানা/অমীমাংসিত তারিখের ঘটনাবলী জন্ম জানুয়ারি-মার্চ এপ্রিল-জুন জুলাই-সেপ্টেম্বর অক্টোবর-ডিসেম্বর মৃত্যু জানুয়ারি-মার্চ এপ্রিল-জুন জুলাই-সেপ্টেম্বর অক্টোবর-ডিসেম্বর বিষয়শ্রেণী:৯৩৬
৯৩৬
__NOTOC__ ৯৪৬ গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জীর একটি সাধারণ বছর। ঘটনাবলী জানুয়ারি-মার্চ এপ্রিল-জুন জুলাই-সেপ্টেম্বর অক্টোবর-ডিসেম্বর অজানা/অমীমাংসিত তারিখের ঘটনাবলী জন্ম জানুয়ারি-মার্চ এপ্রিল-জুন জুলাই-সেপ্টেম্বর অক্টোবর-ডিসেম্বর মৃত্যু জানুয়ারি-মার্চ এপ্রিল-জুন জুলাই-সেপ্টেম্বর অক্টোবর-ডিসেম্বর বিষয়শ্রেণী:৯৪৬
৯৪৬
__NOTOC__ ৯৫৬ গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জীর একটি অধিবর্ষ। ঘটনাবলী জানুয়ারি-মার্চ এপ্রিল-জুন জুলাই-সেপ্টেম্বর অক্টোবর-ডিসেম্বর অজানা/অমীমাংসিত তারিখের ঘটনাবলী জন্ম জানুয়ারি-মার্চ এপ্রিল-জুন জুলাই-সেপ্টেম্বর অক্টোবর-ডিসেম্বর মৃত্যু আলী আল-মাসুদী আরব ঐতিহাসিক, ভুগোল বিশেষজ্ঞ, এবং দার্শনিক। বিষয়শ্রেণী:৯৫৬
৯৫৬
__NOTOC__ ৯৬৬ গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জীর একটি সাধারণ বছর। ঘটনাবলী জানুয়ারি-মার্চ এপ্রিল-জুন জুলাই-সেপ্টেম্বর অক্টোবর-ডিসেম্বর অজানা/অমীমাংসিত তারিখের ঘটনাবলী জন্ম জানুয়ারি-মার্চ এপ্রিল-জুন জুলাই-সেপ্টেম্বর অক্টোবর-ডিসেম্বর মৃত্যু জানুয়ারি-মার্চ এপ্রিল-জুন জুলাই-সেপ্টেম্বর অক্টোবর-ডিসেম্বর বিষয়শ্রেণী:৯৬৬
৯৬৬
__NOTOC__ ৯৭৬ গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জীর একটি অধিবর্ষ। ঘটনাবলী জানুয়ারি-মার্চ এপ্রিল-জুন জুলাই-সেপ্টেম্বর অক্টোবর-ডিসেম্বর অজানা/অমীমাংসিত তারিখের ঘটনাবলী জন্ম জানুয়ারি-মার্চ এপ্রিল-জুন জুলাই-সেপ্টেম্বর অক্টোবর-ডিসেম্বর মৃত্যু জানুয়ারি-মার্চ এপ্রিল-জুন জুলাই-সেপ্টেম্বর অক্টোবর-ডিসেম্বর বিষয়শ্রেণী:৯৭৬
৯৭৬
__NOTOC__ ৯৮৬ গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জীর একটি সাধারণ বছর। ঘটনাবলী জানুয়ারি-মার্চ এপ্রিল-জুন জুলাই-সেপ্টেম্বর অক্টোবর-ডিসেম্বর অজানা/অমীমাংসিত তারিখের ঘটনাবলী জন্ম জানুয়ারি-মার্চ এপ্রিল-জুন জুলাই-সেপ্টেম্বর অক্টোবর-ডিসেম্বর মৃত্যু জানুয়ারি-মার্চ এপ্রিল-জুন জুলাই-সেপ্টেম্বর অক্টোবর-ডিসেম্বর বিষয়শ্রেণী:৯৮৬
৯৮৬
__NOTOC__ ৯৯৬ গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জীর একটি অধিবর্ষ। ঘটনাবলী জানুয়ারি-মার্চ এপ্রিল-জুন জুলাই-সেপ্টেম্বর অক্টোবর-ডিসেম্বর অজানা/অমীমাংসিত তারিখের ঘটনাবলী জন্ম জানুয়ারি-মার্চ এপ্রিল-জুন জুলাই-সেপ্টেম্বর অক্টোবর-ডিসেম্বর মৃত্যু জানুয়ারি-মার্চ এপ্রিল-জুন জুলাই-সেপ্টেম্বর অক্টোবর-ডিসেম্বর বিষয়শ্রেণী:৯৯৬
৯৯৬
হ্যাড্রন (/ˈhædrɒn/; গ্রিক ভাষায়: hadrós, "stout, thick"), পার্টিকেল ফিজিক্স বা কণা পদার্থবিদ্যায়, হলো এক ধরনের যৌগিক কণা বা কম্পোজিট পার্টিকেল যা কোয়ার্ক দিয়ে গঠিত। তড়িৎচুম্বকীয় শক্তির সাহায্যে যেভাবে অণু ও পরমাণুসমূহ পরস্পরের সাথে যুক্ত থাকে, তেমনি কোয়ার্কও পরস্পরের সাথে দৃঢ় শক্তির সাহায্যে সংবদ্ধ থাকে। হ্যাড্রনকে দুটি শ্রেণীতে ভাগ করা হয়েছেঃ ব্যারিয়ন (তিনটি কোয়ার্ক দিয়ে গঠিত) এবং মেসন (একটি কোয়ার্ক এবং একটি অ্যান্টিকোয়ার্ক দিয়ে গঠিত)। সবচেয়ে পরিচিত হ্যাড্রনের মধ্যে অন্যতম হলো প্রোটন এবং নিউট্রন (দুটিই ব্যারিয়নশ্রেণীর) যেগুলো পারমাণবিক নিউক্লিয়াসের উপাদান। প্রোটন ছাড়া অন্য সব ধরনের হ্যাড্রন অস্থিতিশীল এবং অন্য ধরনের কণায় পরিবর্তনশীল। সর্বাপেক্ষা জ্ঞাত মেসন হলো পায়োন এবং কায়োন, যেগুলো ১৯৪০-এর শেষার্ধে এবং ১৯৫০-এর প্রথমার্ধে মহাজাগতিক রশ্মি পরীক্ষার সময় আবিষ্কৃত হয়। যদিও এরাই হ্যাড্রনের একমাত্র উদাহরণ নয়; আরো বহু বহু কণা আবিষ্কৃত হয়েছে এবং আবিষ্কারের প্রক্রিয়া চলছে। (দেখুন ব্যারিয়নের তালিকা এবং মেসনের তালিকা)। অন্যান্য ধরনের হ্যাড্রনও থাকতে পারে, যেমন টেট্রাকোয়ার্ক (অথবা, সাধারণভাবে, exotic meson) এবং পেন্টাকোয়ার্ক (exotic baryon), কিন্তু এদের অস্তিত্বের ব্যাপারে সরাসরি কোনো সমাধানে পৌঁছার মতো প্রমাণ নেই। আরো দেখুন লার্জ হ্যাড্রন কলাইডার কণাসমূহের তালিকা অতিপারমাণবিক কণা তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:পারমাণবিক পদার্থবিজ্ঞান বিষয়শ্রেণী:কণা পদার্থবিজ্ঞান
হ্যাড্রন
চ্যাংলাং () ভারতের অরুনাচল প্রদেশ রাজ্যের চ্যাংলাং জেলার একটি শহর। জনসংখ্যার উপাত্ত ভারতের ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুসারে চ্যাংলাং শহরের জনসংখ্যা হল ৬৩৯৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫৬% এবং নারী ৪৪%। এখানে সাক্ষরতার হার ৭২%। পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৭৮% এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৬৫%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%, তার চাইতে চ্যাংলাং এর সাক্ষরতার হার বেশি। এই শহরের জনসংখ্যার ১৪% হল ৬ বছর বা তার কম বয়সী। তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:অরুনাচল প্রদেশের শহর
চ্যাংলাং
তাওয়াং () ভারতের অরুণাচল প্রদেশ রাজ্যের তওয়াং জেলার একটি শহর। ভৌগোলিক উপাত্ত শহরটির অবস্থানের অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমাংশ হল । সমূদ্র সমতল হতে এর গড় উচ্চতা হল ২৬৬৯ মিটার (৮৭৫৬ ফুট)। জনসংখ্যার উপাত্ত ভারতের ২০০১ সালের জনগণনা অনুসারে তাওয়াং শহরের জনসংখ্যা হল ৪৪৫৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫৪% এবং নারী ৪৬%। এখানে সাক্ষরতার হার ৬৩%। পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৭০% এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৫৫%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%, তার চাইতে তাওয়াং এর সাক্ষরতার হার বেশি। এই শহরের জনসংখ্যার ১৭% হল ৬ বছর বা তার কম বয়সী। তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:অরুনাচল প্রদেশের শহর
তওয়াং
পুনর্নির্দেশ ১৩ মে
১৩ই মে
দেমেতের দ্বাদশ অলিম্পিয়ানদের মধ্যে অন্যতম। (প্রাচীন গ্রিক ভাষায়: Δημήτηρ দ্যাম্যাত্যার্‌) গ্রিক পুরাণ অনুযায়ী শস্যদেবী, ধরিত্রী দেবী এবং ধরিত্রীর উর্বরতার জন্য পূজনীয় ছিলেন। তার কন্যা পার্সিফোনের কারণে গ্রিক সাহিত্যে দেমেতের একটি উল্লেখযোগ্য চরিত্র। রোমক পুরাণে দেমেতেরের সমতুল্য দেবীর নাম সিরিস। বিষয়শ্রেণী:গ্রিক পুরাণের চরিত্র mr:डीमिटर
দেমেতের
ইন্দ্রনগর () ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার একটি শহর। জনসংখ্যার উপাত্ত ভারতের ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুসারে ইন্দ্রনগর শহরের জনসংখ্যা হল ১৭,৬৭৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫১% এবং নারী ৪৯%। এখানে সাক্ষরতার হার ৭৭%। পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৮২% এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৭২%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%, তার চাইতে ইন্দ্রনগর এর সাক্ষরতার হার বেশি। এই শহরের জনসংখ্যার ১০% হল ৬ বছর বা তার কম বয়সী। তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:ত্রিপুরার শহর বিষয়শ্রেণী:পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা
ইন্দ্রনগর
কমলপুর () ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের ধলাই জেলার একটি নগর পঞ্চায়েত-শাসিত শহর। == ভৌগোলিক উপাত্ত == শহরটির অবস্থানের অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমাংশ হল । সমূদ্র সমতল হতে এর গড় উচ্চতা হল ১৬ মিটার (৫২ ফুট)। জনসংখ্যার উপাত্ত ভারতের ২০০১ সালের আদম শুমারি অনুসারে কমলপুর শহরের জনসংখ্যা হল ৫১৪১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫২% এবং নারী ৪৮%। এখানে সাক্ষরতার হার ৮২%। পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৮৪% এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৭৯%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%, তার চাইতে কমলপুর এর সাক্ষরতার হার বেশি। এই শহরের জনসংখ্যার ১০% হল ৬ বছর বা তার কম বয়সী। তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:ত্রিপুরার শহর বিষয়শ্রেণী:ধলাই জেলা
কমলপুর
পুনর্নির্দেশ আলোক নিঃসারী ডায়োড
এল ই ডি
নেপাল কমিউনিস্ট পার্টি (একীকৃত মার্ক্সবাদী-লেনিনবাদী) (नेपाल कम्युनिस्ट पार्टी (एमाले)) নেপালের একটি কমিউনিস্ট দল। নেপালের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী-লেনিনবাদী) এবং নেপালের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী) ১৯৯০ সালে একীভূত হয়ে এই দলটি প্রতিষ্ঠা করেন। দলটির বর্তমান সাধারণ সম্পাদক হলেন ঈশ্বর পোখরেল এবং সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন মাধব কুমার নেপাল। দলটি 'বুদ্ধবার' নামক পত্রিকা প্রকাশ করে থাকে। দলটির যুব সংগঠন হল গণতান্ত্রিক জাতীয় যুব ফেডারেশন, নেপাল (Democratic National Youth Federation, Nepal)। ১৯৯৯ সালের সংসদীয় নির্বাচনে দলটি ২৭৩৪৫৬৮ ভোট পেয়েছিল (৩১.৬১%, ৭১টি আসন)। বর্তমান সদস্যপদ দলটির জুলাই, ২০১৪ সালের কাঠমান্ডুতে অনুষ্ঠিত হয় সাধারণ কনভেনশন। সেখানে ভোটের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় কমিটি নির্বাচিত হয়। চেয়ারম্যান: খড়গ প্রসাদ ওলি ভাইস চেয়ারম্যানগণ: বাম দেব গৌতম, অস্তলক্ষ্মী শাক্য, যুবরাজ গয়ালি এবং ভীম বাহাদুর রাওয়াল সাধারণ সম্পাদক: ঈশ্বর পোখরেল উপ সাধারণ সম্পাদক: Ghanashyam Bhusal, Bishnu Paudel পার্টি সাধারণ সম্পাদকগণ: গোকর্ণ বিস্ট, যোগেশ ভট্টরাই, ভীম আচার্য, প্রদীপ গয়ালি এবং পৃথ্বী শুভ গুরুং। বহিঃসংযোগ www.cpnuml.org বিষয়শ্রেণী:নেপালের রাজনৈতিক দল বিষয়শ্রেণী:সাম্যবাদী দল
নেপাল কমিউনিস্ট পার্টি (একীকৃত মার্ক্সবাদী-লেনিনবাদী)
thumb|150px|Liberales Forum (LIF) উদারপন্থী সভা (Liberales Forum বা LIS) অস্ট্রিয়ার একটি উদারপন্থী রাজনৈতিক দল। এই দলটি ১৯৯৩ সালে Heide Schmit কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। দলটির নেতা হলেন 'আলেক্সান্ডার জাঁক' (Alexander Zach)। ২০০২ সালের সংসদীয় নির্বাচনে দলটি ৪৮ ০৮৩ভোট পেয়েছিল (০.৯৮%) । কিন্তু দলটি সংসদে কোন আসনে জয় লাভ করতে সক্ষম হয় নাই। ইউরোপীয় পার্লামেন্টে এই দলের ১টি আসন রয়েছে। বহিঃসংযোগ www.liberale.at বিষয়শ্রেণী:অস্ট্রিয়ার রাজনৈতিক দল
উদারপন্থী সভা (অস্ট্রিয়া)
ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিআই) হল ভারতের একটি অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল। এটি কমিউনিস্ট পার্টির ভারতীয় শাখা। ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি কবে প্রতিষ্ঠিত হয়, তা নিয়ে ভারতের কমিউনিস্ট আন্দোলনে দুটি মত প্রচলিত আছে। সিপিআই ১৯২৫ সালের ২৬ ডিসেম্বর তারিখটিকে দলের প্রতিষ্ঠা দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছে। কিন্তু সিপিআই ভেঙে গঠিত দল ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী) (সিপিআইএম) মনে করে সিপিআই প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ১৯২০ সালে। ইতিহাস ব্রিটিশ ভারতে কমিউনিস্ট আন্দোলন ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির মতে দল প্রতিষ্ঠা হয়েছিল ১৯২৫ সালের ২৫ ডিসেম্বর কানপুর পার্টি কনফারেন্সের সময়। কিন্তু ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী) মনে করে ১৯২০ সালের ১৭ অক্টোবর কমিউনিস্ট ইন্টারন্যাশনালের দ্বিতীয় কংগ্রেসের পর তুর্কিস্তান অটোনমাস সোভিয়েত সোশ্যালিস্ট রিপাবলিকের তাসখন্দে সিপিআই প্রতিষ্ঠিত হয়। দলের প্রতিষ্ঠাতা-সদস্যরা ছিলেন মানবেন্দ্রনাথ রায়, ইভলিন ট্রেন্ট রায় (মানবেন্দ্রনাথ রায়ের স্ত্রী), অবনী মুখোপাধ্যায়, রোজা ফিটিনগফ (অবনী মুখোপাধ্যায়ের স্ত্রী), মহম্মদ আলি (আহমেদ হাসান), মহম্মদ শাফিক সিদ্দিকি, ভোপালের রফিক আহমেদ, এম. পি. বি. টি. আচার্য ও উত্তরপশ্চিম সীমান্ত প্রদেশের সুলতান আহমেদ খান তারিন। সিপিআই-এর মতে ভারতীয়রা বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে বিদেশিদের সাহায্যে অনেকগুলি কমিউনিস্ট গোষ্ঠী স্থাপন করেছিল। তাসখন্দের গোষ্ঠীটি সেগুলির অন্যতম। সিপিআই ভারতের মধ্যে সংগঠন গড়ে তুলতে প্রয়াসী হয়। মানবেন্দ্রনাথ রায় বাংলার অনুশীলন ও যুগান্তর গোষ্ঠীর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। বাংলা (মুজফফর আহমেদের নেতৃত্বে), বোম্বাই (এস. এ. ডাঙ্গের নেতৃত্বে), মাদ্রাজ (সিঙ্গারাভেলু চেত্তিয়ারের নেতৃত্বে) যুক্তপ্রদেশ (শৌকত উসমানির নেতৃত্বে) ও পাঞ্জাব ও সিন্ধুপ্রদেশ (গুলাম হুসেনের নেতৃত্বে) ছোটো ছোটো কমিউনিস্ট গোষ্ঠী গড়ে ওঠে। এঁদের মধ্যে একমাত্র উসমানিই সিপিআই-এর দলীয় সদস্য হয়েছিলেন। ১৯২০-এর দশক ও ১৯৩০-এর দশকের গোড়ার দিকে দলের সংগঠনের অবস্থা খুব খারাপ ছিল। বিভিন্ন কমিউনিস্ট গোষ্ঠী সীমাবদ্ধ জাতীয় সহযোগিতার ভিত্তিতে কাজ করত। ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক কর্তৃপক্ষ সব ধরনের কমিউনিস্ট ক্রিয়াকলাপ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল। সেই জন্য দলের মধ্যে ঐক্যস্থাপন খুব কঠিন ছিল। ১৯২১ থেকে ১৯২৪ সালের মধ্যে কমিউনিস্ট আন্দোলনের বিরুদ্ধে তিনটি ষড়যন্ত্র মামলা রুজু করা হয়। এগুলি হল পেশোয়ার ষড়যন্ত্র মামলা, মিরাট ষড়যন্ত্র মামলা ও কানপুর বলশেভিক ষড়যন্ত্র মামলা। এই প্রথম তিন মামলায় রাশিয়ায় প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মুহাজির কমিউনিস্টদের বিচার হয়। যদিও কানপুর মামলাটি অধিকতর বেশি পরিমাণে রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করেছিল। ১৯২৪ সালের ১৭ মার্চ এই মামলায় মানবেন্দ্রনাথ রায়, এস. এ. ডাঙ্গে, মুজফফর আহমেদ, নলিনী গুপ্ত, শৌকত উসমানি, সিঙ্গারাভেলু চেত্তিয়ার, গুলাম হুসেন ও আর. সি. শর্মাকে অভিযুক্ত করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট অভিযোগ ছিল এই যে তারা ‘একটি সহিংস বিপ্লবের মাধ্যমে ভারতকে ব্রিটেনের সাম্রাজ্য থেকে বিচ্ছিন্ন করে সম্রাটকে ব্রিটিশ ভারতের সার্বভৌমত্ব থেকে বঞ্চিত করার’ চেষ্টা করছেন। দৈনিক সংবাদপত্রগুলির পাতায় পাতায় কমিউনিস্টদের বিপ্লবী পরিকল্পনার বিবরণ ছাপা হতে শুরু করে। সেই প্রথম ভারতীয়রা সাম্যবাদ, সাম্যবাদী মতাদর্শ এবং ভারতে কমিউনিস্ট ইন্টারন্যাশনালের উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানতে পারে। সিঙ্গারাভেলু চেত্তিয়ার শারীরিক অসুস্থতার কারণে মুক্তি পান। মানবেন্দ্রনাথ রায় জার্মানিতে ছিলেন এবং আর. সি. শর্মা ছিলেন ফরাসি উপনিবেশ পন্ডিচেরিতে। তাই তাদের গ্রেফতার করা যায়নি। গুলাম হুসেন স্বীকার করে নেন যে তিনি কাবুলে রাশিয়ানদের থেকে অর্থ নিয়েছিলেন। তাকে ক্ষমা করে দেওয়া হয়। মুজফফর আহমেদ, নলিনী গুপ্ত, শৌকত উসমানি ও ডাঙ্গেকে কয়েক দফায় কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এই মামলাটি ভারতীয়দের কাছে সাম্যবাদকে পরিচিত করে তোলার জন্য অনেকাংশে দায়ী। ১৯২৭ সালে ডাঙ্গে মুক্তি পান। ১৯২৫ সালের ২৫ ডিসেম্বর কানপুরে একটি কমিউনিস্ট কনফারেন্সের আয়োজন করা হয়। ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষের অনুমান অনুসারে, ৫০০ জন সেই কনফারেন্সে অংশগ্রহণ করেছিল। কনফারেন্সের আহ্বায়ক ছিলেন সত্যভক্ত নামে এক ব্যক্তি। কনফারেন্সে সত্যভক্ত কমিনটার্নের অধীনে থাকার পরিবর্তে একটি ‘জাতীয় সাম্যবাদে’র পক্ষে মত প্রকাশ করেন। কিন্তু ভোটে তাঁর মত পরাজিত হলে তিনি প্রতিবাদে কনফারেন্সের স্থান পরিত্যাগ করেন। এই কনফারেন্সে ‘ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি’ নামটি গৃহীত হয়। লেবার কিসান পার্টি অফ হিন্দুস্তান (এলকেপিএইচ) প্রভৃতি কয়েকটি গোষ্ঠী সিপিআই-এর সঙ্গে মিশে যায়। নবগঠিত সিপিআই-এর সাংগঠনিক শক্তি কম হলেও এটি ভারতে কাজ চালানোর মতো সংগঠন গড়ে তুলতে সক্ষম হয়। ১৯২৬ সালে বাংলার ওয়ার্কার অ্যান্ড পিজন্টস পার্টির সম্মেলনের পর নিষিদ্ধ হল সিপিআই এই দলের সদস্যদের প্রাদেশিক ওয়ার্কার অ্যান্ড পিজন্টস পার্টিগুলিতে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দেয়। এই দলগুলির মাধ্যমেই যাবতীয় প্রকাশ্য কমিউনিস্ট কার্যকলাপ চলত। ১৯২৮ সালে কমিউনিস্ট ইন্টারন্যাশনালের ষষ্ঠ কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হয়। ১৯২৭ সালে কুওমিনটাং চীনা কমিউনিস্টদের বিরোধিতা করেছিলেন। চীনা কমিউনিস্টরা ঔপনিবেশিক দেশগুলির জাতীয় বুর্জোয়া দলগুলির সঙ্গে জোট বাঁধার নীতি গ্রহণ করেছিল। ষষ্ঠ কমিনটার্ন কংগ্রেসের ঔপনিবেশিক তত্ত্ব অনুসারে ভারতীয় কমিউনিস্টদের ডাক দেওয়া হয় ‘জাতীয়-সংশোধনবাদী নেতৃবৃন্দের’ বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য এবং ‘ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের জাতীয় সংশোধনবাদের মুখোশ খুলে দেওয়ার জন্য এবং স্বরাজবাদী, গান্ধীবাদী ইত্যাদি সকল ধরনের নিষ্ক্রিয় প্রতিবাদী শব্দগুলির বিরোধিতা করার জন্য’। কংগ্রেস যদিও চীনা কুওমিংটাং ও ভারতীয় স্বরাজ্য দলের মধ্যে পার্থক্য আছে বলে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে এবং স্বরাজ্য দলকে নির্ভরযোগ্য বন্ধু বা প্রত্যক্ষ শত্রু কোনোটি তকমা দিতে অস্বীকার করে। কংগ্রেসে ভারতীয় কমিউনিস্টদের ডাক দেওয়া হয় জাতীয় বুর্জোয়া শক্তি ও ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদীদের বিরোধের জায়গাগুলি ব্যবহার করার জন্য। এছাড়া কংগ্রেসে ডব্লিউপিপি-র সমালোচনা করা হয়। ৩ জুলাই, ১৯২৯১৯ জুলাই, ১৯২৯ তারিখের কমিউনিস্ট ইন্টারন্যাশনালের কার্যনির্বাহী সমিতির দশম প্লেনাম অনুসারে, ভারতীয় কমিউনিস্টদের ডব্লিউপিপি-র সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার নির্দেশ দেওয়া হয়। এই নির্দেশ কার্যকর করা হলে ডব্লিউপিপি ভেঙে যায়। ১৯২৯ সালের ২০ মার্চ ডব্লিউপিপি, সিপিআই ও অন্যান্য শ্রমিক নেতাদের ভারতের নানা অঞ্চল থেকে গ্রেফতার করা হয়। এই মামলাটি মিরাট ষড়যন্ত্র মামলা নামে পরিচিত। কমিউনিস্ট নেতাদের কারারুদ্ধ করা হয়। চার বছর ধরে তাদের বিচার চলে। ১৯৩৪ সালে সিপিআই-এর প্রধান কর্মস্থল ছিল বোম্বাই, কলকাতা ও পাঞ্জাব। দল মাদ্রাজেও কার্যকলাপ বিস্তার করছিল। আমির হায়দার খান অন্ধ্র ও তামিল ছাত্রদের একটি গোষ্ঠীকে সিপিআই-এর অন্তর্ভুক্ত করেন। এঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন পি. সুন্দরায়া। ১৯৩৩ সালে মিরাট ষড়যন্ত্র মামলা থেকে নেতারা অব্যহতি পেলে পার্টি পুনরায় সংগঠিত হয়। দলের একটি কেন্দ্রীয় কমিটি গঠিত হয়। ১৯৩৪ সালে দলটিকে কমিউনিস্ট ইন্টারন্যাশনালের ভারতীয় অংশ হিসেবে স্বীকার করে নেওয়া হয়। ১৯৩৪ সালে ভারতীয় বামপন্থী নেতারা কংগ্রেস সোশ্যালিস্ট পার্টি (সিএসপি) গঠন করলে সিপিআই এই দলটিকে সমাজতান্ত্রিক ফ্যাসিবাদী আখ্যা দেয়। কমিনটার্ন জনপ্রিয় ফ্রন্ট রাজনীতির দিকে নীতি পরিবর্তন করলে ভারতীয় কমিউনিস্টরা ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সঙ্গে তাদের সম্পর্কে পরিবর্তন আনেন। কমিউনিস্টরা কংগ্রেসের বামপন্থী শাখা কংগ্রেস সোশ্যালিস্ট পার্টিতে যোগ দেন। সিএসপিতে যোগদানের মাধ্যমে সিপিআই সিএসপির গণপরিষদের দাবি মেনে নেয়। এই দাবি দুই বছর আগে প্রত্যাখ্যান করা হয়েছিল। যদিও সিপিআই-এর ব্যাখ্যা অনুসারে একটি গণপরিষদ সোভিয়েতের সমতুল্য ছিল না। ১৯৩৭ সালের জুলাই মাসে সিপিআই-এর প্রথম কেরল শাখাটি কালিকটে একটি গোপন বৈঠকে গঠিত হয়। এই বৈঠকে পাঁচ জন উপস্থিত ছিলেন। এঁরা হলেন পি. কৃষ্ণ পিল্লাই, ই. এম. এস. নাম্বুদিরিপাদ, এন. সি. শেখর, কে. দামোদরন ও এস. ভি. ঘাটে। এঁদের মধ্যে প্রথম চার জন ছিলেন কেরলে সিএসপি-এর সদস্য। ঘাটে ছিলেন সিপিআই-এর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য। তিনি মাদ্রাজ থেকে এসেছিলেন। কেরলে সিএসপি ও সিপিআই-এর মধ্যে যোগাযোগ শুরু হয়েছিল ১৯৩৫ সালে। সেই সময় পি. সুন্দরায়া (সেই সময় মাদ্রাজের বাসিন্দা ও সিপিআই-এর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য) নাম্বুদিরিপাদ ও কৃষ্ণ পিল্লাইয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন। সুন্দরায়া ও ঘাটে কয়েকবার কেরলে আসেন এবং সেখানকার সিএসপি নেতাদের সঙ্গে দেখা করেন। কংগ্রেস, সিএসপি ও সারা ভারত কৃষক সভার জাতীয় সম্মেলনগুলিতে এই যোগাযোগ আরও দৃঢ় হয়। ১৯৩৬-১৯৩৭ সালে সোশ্যালিস্ট ও কমিউনিস্টদের মধ্যে সহযোগিতার পরিমাণ সর্বাধিক বৃদ্ধি পায়। ১৯৩৬ সালের জানুয়ারি মাসে মিরাটে আয়োজিত সিএসপি-র ২য় কংগ্রেসে একটি তত্ত্ব গৃহীত হয় এবং এই তত্ত্ব অনুসারে ঘোষণা করা হয় ‘মার্ক্সবাদ-লেনিনবাদের ভিত্তিতে একটি সংযুক্ত ভারতীয় সমাজতান্ত্রিক দল’ গঠন করা দরকার। ফৈজপুরে আয়োজিত সিএসপি-র ৩য় কংগ্রেসে কয়েকজন কমিউনিস্ট সিএসপি-র জাতীয় কার্যনির্বাহী সমিতিতে স্থান পান। কেরলে কমিউনিস্টরা সিএসপি-র উপর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ অর্জন করে। অল্প কিছু সময়ের জন্য সেখানে তারা কংগ্রেসকেও নিয়ন্ত্রণ করে। নাম্বুদিরিপাদ ও জেড. এ. আহমেদ – এই দুই কমিউনিস্ট সিএসপির সর্বভারতীয় যুগ্ম সচিব হন। সিএসপি-র কার্যনির্বাহী সমিতিতে সিপিআই-এর আরও সদস্য ছিলেন। ১৯৪০ সালে সিপিআই-এর রামগড় কংগ্রেস কনফারেন্সে দল ‘প্রলেতারিয়ান পথে’র কথা ঘোষণা করে। এর মাধ্যমে যুদ্ধের সময় ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের দুর্বল অবস্থার সুযোগ নিয়ে সাধারণ ধর্মঘট, সরকারকে আর্থিক সুযোগসুবিধা দান বন্ধ করা এবং সশস্ত্র বিদ্রোহে মানুষকে উৎসাহিত করার ডাক দেওয়া হয়। সিএসপি জাতীয় কার্যনির্বাহী সমিতি রামগড়ে সমবেত হয়ে সকল কমিউনিস্টকে সিএসপিকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয়। ১৯৪২ সালের জুলাই মাসে সিপিআই আইনি স্বীকৃতি লাভ করে। অল ইন্ডিয়া ট্রেড ইউনিয়ন কংগ্রেসের উপর কমিউনিস্টদের কর্তৃত্ব বৃদ্ধি পায়। একই সময় কমিউনিস্টরা তাদের ভারত ছাড়ো আন্দোলনের বিরোধিতা সম্পর্কে রাজনৈতিকভাবে সচেতন ছিলেন। ১৯৪৬ সালে সিপিআই একক শক্তিতে প্রাদেশিক আইনসভা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে। ১৫৮৫টি আসনের মধ্যে ১০৮টি আসনে লড়ে তারা আটটি আসন পায়। সিপিআই-এর প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা ছিল ৬৬৬,৭২৩। উল্লেখ্য, ভারতের প্রাপ্তবয়স্ক জনসংখ্যার ৮৬% এই নির্বাচনে অংশ নেয়নি। দল বাংলায় তিনটি আসনে জয় লাভ করে তিনটি আসনেই জয় লাভ করে। সিপিআই প্রার্থী সোমনাথ লাহিড়ী গণপরিষদে নির্বাচিত হন। ১৯৪৬ সালে সিপিআই তেভাগা আন্দোলন নামে বাংলায় সামন্ত্রতন্ত্রের বিরুদ্ধে একটি জঙ্গি আন্দোলন শুরু করে। স্বাধীন ভারতে কমিউনিস্ট আন্দোলন১৯৬২সালে চীন ভারত যে যুদ্ধ হয়,সেই যুদ্ধের পক্ষে ও বিপক্ষে তৎকালীন সি পি আইএর ভেতর অন্তর্দ্বন্দ্ব শুরু হয়।১৯৬৪সালের কংগ্রেসে তার বহিঃপ্রকাশ হয়।ফল দ্বিধা বিভক্ত হয়ে সি পি আই(এম)নাম নিয়ে নূতন স্ংগঠন গড়া হয় ও সি পি আই কে সংশোধন বাদী আখ্যায়িত করে। সুতরাং আজ ২০১৯ সালে সি পি আই(এম)এর শত বর্ষ পালন করা অযৌক্তিক ও হাস্যকর। বিশিষ্ট নেতৃবর্গ বিষ্ণু চট্টোপাধ্যায়, (এপ্রিল, ১৯১০ - ১১ এপ্রিল, ১৯৭১) ছিলেন জমিদারতন্ত্র বিরোধী কৃষক আন্দোলনের ঐতিহাসিক নেতা ও সাম্যবাদী রাজনীতিবিদ। ভূপেশ গুপ্ত, (২০ অক্টোবর, ১৯১৪ - ৬ আগস্ট, ১৯৮১) ছিলেন কমিউনিস্ট আন্দোলনের অন্যতম নেতা। অজয় ঘোষ ছিলেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ও তাত্ত্বিক নেতা। সোমনাথ লাহিড়ী (১ সেপ্টেম্বর, ১৯০৯ - ১৯ অক্টোবর ১৯৮৪) প্রখ্যাত কমিউনিস্ট নেতা, সুলেখক ও সংবিধান রচয়িতা গণপরিষদের একমাত্র সাম্যবাদী সদস্য। ভবানী সেন ছিলেন দলের রাজ্য সম্পাদক, পলিটব্যুরো সদস্য ও খ্যাতনামা বামপন্থী বুদ্ধিজীবী। অর্ধেন্দুভূষণ বর্ধন, (২৪ সেপ্টেম্বর, ১৯২৪) ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির (সি পি আই) প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক। লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল আরও দেখুন কংগ্রেসসমূহ ভারতের কম্যুনিস্ট পার্টির দ্বিতীয় কংগ্রেস বসে ১৯৪৮ সালে কলকাতার মহম্মদ আলি পার্ক চত্বরে।এই কংগ্রেসে সম্পাদক নির্বাচিত হন বি. টি. রণদিভে। বহিঃসংযোগ ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি বিষয়শ্রেণী:ভারতের রাজনৈতিক দল বিষয়শ্রেণী:ভারতে সাম্যবাদী দল বিষয়শ্রেণী:ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি বিষয়শ্রেণী:সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী সংগঠন
ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি
চিলির সমাজতান্ত্রিক পার্টি (Partido Socialista de Chile) চিলির একটি সমাজবাদী গণতন্ত্রী রাজনৈতিক দল। এই দলটি ১৯৩৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। দলটির সাধারণ সম্পাদক হলেন Ricardo Núñez । দলটির সভাপতি হলেন Camilo Escalona । দলটির তরুণ সংগঠন হল Juventud Socialista de Chile । ২০০৫ সালের সংসদীয় নির্বাচনে দলটি ৬৫৩৬৯২ ভোট পেয়েছিল (১০.০২%, ১৫টি আসন) । ২০০৬ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে দলটির প্রার্থী Michelle Bachelet ৩৭২৩০১৯ ভোট (৫৩.৪৯%) পেয়ে জয়লাভ করেন। দলটি সোশালিস্ট ইন্টারন্যাশনাল নামক সমাজবাদী আন্তর্জাতিক সংগঠনের সাথে জড়িত। বহিঃসংযোগ চিলির সমাজতান্ত্রিক পার্টির ওয়েবসাইট বিষয়শ্রেণী:চিলির রাজনৈতিক দল
চিলির সমাজতান্ত্রিক পার্টি
মদনরতিং () ভারতের মেঘালয় রাজ্যের পূর্ব খাসি পাহাড় জেলার একটি শহর। জনসংখ্যার উপাত্ত ভারতের ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুসারে মদনরতিং শহরের জনসংখ্যা হল ১৬,৭০০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫১% এবং নারী ৪৯%। এখানে সাক্ষরতার হার ৭৬%। পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৮০% এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৭২%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%, তার চাইতে মদনরতিং এর সাক্ষরতার হার বেশি। এই শহরের জনসংখ্যার ১৩% হল ৬ বছর বা তার কম বয়সী। তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:মেঘালয়ের শহর
মদনরতিং
মৈরাং () ভারতের মেঘালয় রাজ্যের পশ্চিম খাসি পাহাড় জেলার একটি শহর। ভৌগোলিক উপাত্ত শহরটির অবস্থানের অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমাংশ হল । সমূদ্র সমতল হতে এর গড় উচ্চতা হল ১৫৬৪ মিটার (৫১৩১ ফুট)। জনসংখ্যার উপাত্ত ভারতের ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুসারে মৈরাং শহরের জনসংখ্যা হল ১১,৫১৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫০% এবং নারী ৫০%। এখানে সাক্ষরতার হার ৬২%। পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৬২% এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৬৩%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%, তার চাইতে মৈরাং এর সাক্ষরতার হার বেশি। এই শহরের জনসংখ্যার ২২% হল ৬ বছর বা তার কম বয়সী। তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:মেঘালয়ের শহর
মৈরাং
কোলাসিব (), ভারতের মিজোরাম রাজ্যের কোলাসিব জেলার একটি শহর । জনসংখ্যার উপাত্ত ভারতের ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুসারে কোলাসিব শহরের জনসংখ্যা হল ১৮,৮৫২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫১%, এবং নারী ৪৯%। এখানে সাক্ষরতার হার ৮২%, । পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৮৩%, এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৮১%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%, তার চাইতে কোলাসিব এর সাক্ষরতার হার বেশি। এই শহরের জনসংখ্যার ১৩% হল ৬ বছর বা তার কম বয়সী। তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:মিজোরামের শহর
কোলাসিব
থেঞ্জাল () ভারতের মিজোরাম রাজ্যের [[সেরছিপ জেলা|সেরছিপ]] জেলার একটি শহর। ভৌগোলিক উপাত্ত শহরটির অবস্থানের অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমাংশ হল । সমূদ্র সমতল হতে এর গড় উচ্চতা হল ৭৮৩ মিটার (২৫৬৮ ফুট)। জনসংখ্যার উপাত্ত ভারতের ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুসারে থেঞ্জাল শহরের জনসংখ্যা হল ৫৫১৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫০%, এবং নারী ৫০%। এখানে সাক্ষরতার হার ৮৩%, । পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৮৫%, এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৮২%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%, তার চাইতে থেঞ্জাল এর সাক্ষরতার হার বেশি। এই শহরের জনসংখ্যার ১৫% হল ৬ বছর বা তার কম বয়সী। তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:মিজোরামের শহর
থেঞ্জাল
চিত্রনাট্য বলতে কোন চলচ্চিত্রের পরিকল্পনার পাণ্ডুলিপিকে বোঝায়। এটি কোন গল্প বা উপন্যাস অনুসরণে তৈরি হতে পারে, কিংবা মৌলিক-ও হতে পারে। মূলত ক্যামেরার সঙ্গে কাজ করার জন্য চিত্রনাট্য লেখা হয়। তাই ক্যামেরায় ছবি বা শট গ্রহণ করার কথা মাথায় রেখে চিত্রনাট্য তৈরি করা হয়। সে জন্য চিত্রনাট্যে দৃশ্য বিভাজন থাকে। থাকে সংলাপ ও বিভিন্ন বর্ণনা। তাছাড়া স্থান, সময়, চরিত্র ও ঘরের বাইরে বা ভিতরে কিনা সেটাও উল্লেখ থাকে। এছাড়া চিত্রনাট্যে চরিত্রের আচরণ, অভিব্যক্তি, সংলাপ ও চলাফেরা সম্পর্কে লেখা হয়। চিত্রনাট্যের প্রথমে একটা গল্প সংক্ষেপ থাকতেও পারে, আবার নাও থাকতে পারে। তবে বেশির ভাগ সময় পরিচালকরা গল্প সংক্ষেপ চান। চিত্রনাট্য সাধারণত চলচ্চিত্র, ভিডিও গেম বা টেলিভিশন অনুষ্ঠানের জন্য লেখা হয়। পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র সাধারণত ১২০ পৃষ্ঠার হয় এবং এতে গড়পড়তা দৃশ্য থাকে ৮০টি। একটি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র সাধারণ ২ ঘণ্টা থেকে আড়াই ঘণ্টা দৈর্ঘ্যের হয়ে থাকে। আরো পড়ুন - Paperback - Paperback - Paperback - Paperback Luca Bandirali, Enrico Terrone (2009), Il sistema sceneggiatura. Scrivere e descrivere i film, Turin (Italy): Lindau. . Riley, C. (2005) The Hollywood Standard: the complete and authoritative guide to script format and style. Michael Weise Productions. Sheridan Press. . বহিঃসংযোগ Writing section from the MovieMakingManual (MMM) Wikibook, especially on formatting. {{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.wga.org/contracts/credits/manuals/survival-guide#2||শিরোনাম=Credits Survival Guide: Everything you wanted to know about the credits process but didn't ask.''' BEFORE YOU MAKE A DEAL|প্রকাশক=Writers Guild of America West|ভাষা=en|সংগ্রহের-তারিখ=2020-03-29}} American Screenwriters Association All Movie Scripts on IMSDb (A-Z) imsdb.com'' বিষয়শ্রেণী:কল্পকাহিনী বিষয়শ্রেণী:কল্পকাহিনির গঠন বিষয়শ্রেণী:চলচ্চিত্র বিষয়শ্রেণী:চলচ্চিত্র এবং ভিডিও পরিভাষা বিষয়শ্রেণী:চলচ্চিত্রনির্মাণ বিষয়শ্রেণী:চলচ্চিত্র প্রযোজনা বিষয়শ্রেণী:চিত্রনাট্যরচনা বিষয়শ্রেণী:টেলিভিশন পরিভাষা বিষয়শ্রেণী:চিত্রনাট্য
চিত্রনাট্য
thumb|ভেরোবোর্ড মূল নামটি স্ট্রিপবোর্ড হলেও “ভেরো ইলেকট্রনিকস কোঃ” এর ভেরোবোর্ড ট্রেড মার্ক নামেই এই বোর্ডটি বেশি পরিচিত। এটি ইলেকট্রনিকস সার্কিট তৈরির জন্য ব্যবহার করা হয়। এতে পূর্বে থেকেই ছিদ্র করা থাকে। এতে ০.১ ইঞ্চি দুরত্বে ৫ মিমি আকারের ছিদ্র থাকে যারা সমান্তরালে তামার স্তর দ্বারা সংযুক্ত থাকে। এর ফলে পিসিবি তৈরি না করেও সার্কিট তৈরি করা যায়। হবিস্টদের কাছে জনপ্রিয় এই বোর্ডে ছিদ্রগুলোতে ডায়াগ্রাম অনুযায়ী সার্কিটটি বসিয়ে পরে ঝালাই করে নেয়া হয়, এবং ছিদ্রযুক্ত থাকায় একে প্রয়োজন অনুযায়ী কেটে নেয়া সহজ হয়। থাম্ব তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:ইলেকট্রনিক্স
স্ট্রিপবোর্ড
আজিজুর রহমান (১৮ জানুয়ারি ১৯১৭ - ১২ সেপ্টেম্বর ১৯৭৮) ছিলেন একজন বাংলাদেশী কবি এবং গীতিকার। তিনি ১৯৭৯ সালে একুশে পদক লাভ করেন। প্রারম্ভিক জীবন আজিজুর রহমান ১৯১৭ সালের ১৮ জানুয়ারি তৎকালীন পূর্ববঙ্গের (বর্তমান বাংলাদেশ) কুষ্টিয়া সদর উপজেলার হাটশ হরিপুর গ্রামে জমিদার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম বশির উদ্দিন প্রামানিক ও মাতার নাম সবুরুন নেছা। শিশুবয়সে তার পিতা মৃত্যুবরণ করার পর তার শিক্ষাজীবনের ইতি ঘটে। এ সময় তিনি স্থানীয় যাত্রা ও নাটকের দলে যোগদান করেন। কর্মজীবন ১৯৩৮ সাল থেকে আজিজুর রহমান তৎকালীন বিভিন্ন পত্রিকাতে তার লেখা কবিতা ও গান পাঠানো শুরু করেন। এসময় সওগাত, মোহাম্মদী, আজাদ, নবশক্তি, আনন্দবাজার, ভারতবর্ষ, বুলবুল, শনিবারের চিঠি পত্রিকাসমূহে নিয়মিতভাবে তার সাহিত্য বিষয়ক লেখা প্রকাশিত হত। কুষ্টিয়াতে তিনি একটি নাট্যদল গঠন করেন এবং এতে অভিনয়ও করেন। দলটি শিলাইদহের ঠাকুর বাড়িতে নাটক মঞ্চস্থ করত। ১৯৫৪ সালে আজিজুর রহমান ঢাকা বেতারে (বর্তমান বাংলাদেশ বেতার) নিজস্ব শিল্পী হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৬০ সালে আলাপনী শীর্ষক একটি কিশোর মাসিক পত্রিকার সম্পাদক হিসেবে কাজ করেন। ১৯৬৪ সাল থেকে ১৯৭০ সাল পর্যন্ত তিনি দৈনিক পয়গামের সাহিত্য বিভাগের সম্পাদক ছিলেন। উল্লেখযোগ্য কর্ম গান আজিজুর রহমান দুই হাজারের অধিক গান রচনা করেছেন। তার জনপ্রিয় গানগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য- ভবের নাট্যশালায় মানুষ চেনা দায় রে, কারো মনে তুমি দিও না আঘাত, সে আঘাত লাগে কাবার ঘরে , আকাশের ঐ মিটি মিটি তারার সাথে কইবো কথা, নাই বা তুমি এলে, পৃথিবীর এই পান্থশালায়, হায় পথ ভোলা কবি, আমি রূপনগরের রাজকন্যা রূপের জাদু এনেছি, বুঝি না মন যে দোলে বাঁশিরও সুরে, দেখ ভেবে তুই মন, আপন চেয়ে পর ভালো, পলাশ ঢাকা কোকিল ডাকা আমারই দেশ ভাই রে প্রভৃতি। গ্রন্থ ডাইনোসরের রাজ্যে (১৯৬২) জীবজন্তুর কথা (১৯৬২) ছুটির দিনে (১৯৬৩) এই দেশ এই মাটি (১৯৭০) উপলক্ষের গান (১৯৭০) কবিতাসমুহ তিনি প্রায় ৩০০-এর উপরে কবিতা রচনা করেছেন। তার মধ্যে নৈশনগরী, মহানগরী, সান্ধ্যশহর, ফেরিওয়ালা, ফুটপাত, তেরশপঞ্চাশ, সোয়ারীঘাটের সন্ধ্যা, বুড়িগঙ্গার তীরে, পহেলা আষাঢ়, ঢাকাই রজনী, মোয়াজ্জিন, পরানপিয়া, উল্লেখযোগ্য। ব্যক্তিগত জীবন আজিজুর রহমান ১৯৩১ সালে ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা উপজেলার ফুলহরি গ্রামের ফজিলাতুন নেছার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। এই দম্পতির ৩ ছেলে ৪ মেয়ে রয়েছে। ১৯৭৮ সালের ৯ সেপ্টেম্বর আজিজুর রহমান মৃত্যুবরণ করেন। তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশী কবি বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশী গীতিকার বিষয়শ্রেণী:১৯১৭-এ জন্ম বিষয়শ্রেণী:১৯৭৮-এ মৃত্যু বিষয়শ্রেণী:ভাষা ও সাহিত্যে একুশে পদক বিজয়ী বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশী পুরুষ লেখক
আজিজুর রহমান (গীতিকার)
ডা. খাস্তগীর সরকারি বালিকা বিদ্যালয় বাংলাদেশের চট্টগ্রাম জেলায় অবস্থিত একটি সরকারি বালিকা বিদ্যালয়। এটি চট্টগ্রামের প্রাচীনতম এবং অন্যতম প্রথম বালিকা বিদ্যালয়। ইতিহাস উনিশ শতকের ব্রাহ্ম আন্দোলনের অন্যতম নেতা অন্নদাচরণ খাস্তগীর ১৮৭৮ সালে চট্টগ্রামের বর্তমান জামাল খান সড়কে একটি ভার্নাকুলার মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। এরপর অন্নদাচরণের জামাতা, চট্টগ্রামের সামাজিক আন্দোলনের পথিকৃৎ যাত্রামোহন সেন তার স্মৃতি রক্ষার জন্যে একে ইংরেজি উচ্চ বিদ্যালয়ে উন্নীত করার লক্ষে একটি বিদ্যালয় নির্মাণ করেন। বিংশ শতকের শুরুর দিকে ১৯০৭ সালে তিনি এই বিদ্যালয়কে জমি ও ভবন দান করেন এবং নাম দেওয়া হয় অন্নদাচরণ খাস্তগীর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। একই বছর, এটি সরকারী বিদ্যালয় হিসেবে ঘোষণা করা হয়। যিনি ডঃ খাস্তগীরের তৃতীয় কন্যা বিনোদিনীকে বিয়ে করেছিলেন, ১৯০৭ সালে এই স্কুলটি এককভাবে মেয়েদের জন্য তৈরি করেছিলেন এবং এটি নামকরণ করেন খাস্তগীর বালিকা বিদ্যালয় । ১৯০৬ সালে বিনোদিনী তার শ্বশুরবাড়িতে মারা যায়। এর পর জেএম সেন এটিকে একটি উচ্চ ইংরেজি বিদ্যালয়ে উন্নীত করার জন্য সাত একর জমি এবং একটি বিল্ডিং অনুদান দিয়েছিলেন, পরে এটি সরকার কর্তৃক ভর্তুকি লাভ করে এবং ডঃ খাস্তগীরের সরকারী উচ্চ ইংলিশ স্কুল গার্লস হিসাবে নামকরণ করে। ২০০৭ সালে স্কুলটি তে ১০০ বছর পুর্তি পালন করা হয়েছে। সেই সময়ে অনেক প্রাক্তন শিক্ষার্থী দীর্ঘ তিন দিন ধরে উদযাপন করেছিল। তখন পুরো ক্যাম্পাস জুড়ে সারা রাত বিভিন্ন রংরে আলোর বাতি সমারোহ ছিল। এবং প্রায় ২ হাজার মোমবাতি জ্বালিয়ে এই উদযাপনের সমাপ্তি ঘটে, এতে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং অতিথিরা ঠাকুরের "পুরাণো সেয়ে রাতের খাবার" গেয়েছিলেন। মাত্র তিন জন শিক্ষার্থী (আন্না সেন, প্রেম কুসুম এবং জুনি) নিয়ে যাত্রা করে, বিদ্যালয়টি গত ১০০ বছরে কয়েকশো আলেম তৈরি করেছে। এটি চট্টগ্রামের পাশাপাশি দেশের অন্যতম প্রাচীন ও মর্যাদাপূর্ণ বিদ্যালয়। স্কুলটি একাডেমিক দিক দেয়ে শ্রেষ্ঠত্ব, অতিরিক্ত পাঠ্যক্রমিক ক্রিয়াকলাপ এবং মেয়েদের শিক্ষার বিকাশের জন্য খ্যাতি ও সম্মান অর্জন করেছে। সু্যোগ - সুবিধা বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ, কম্পিউটার ল্যাব, সায়েন্স ল্যাব, হল ও মিলনায়তন সহ একটি বড় ব্যায়ামাগার রয়েছে। শিক্ষাবিদগণ স্কুলটি বাংলাদেশি শিক্ষাব্যবস্থার সাধারণ জাতীয় পাঠ্যক্রম অনুসরণ করে এবং প্রাথমিক (গ্রেড 5 থেকে শুরু করে) মাধ্যমিক স্তর (6 থেকে 10 গ্রেড) পর্যন্ত মেয়েদের শিক্ষা প্রদান করে। বছরে তিনটি একাডেমিক পদ রয়েছে। প্রথম শব্দটি জানুয়ারিতে শুরু হয় এবং এপ্রিলের শেষের দিকে। দ্বিতীয়টি জুনের দিকে শুরু হয়ে আগস্টের শেষের দিকে শেষ হয়। চূড়ান্ত মেয়াদটি সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি থেকে শুরু হয়ে নভেম্বরের শুরুতে শেষ হয়। শিক্ষার্থীদের প্রথম মেয়াদ শেষে গ্রীষ্মের ছুটি এবং চূড়ান্ত মেয়াদ শেষে শীতের ছুটি থাকে। শিপ্টিং বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীর কারণে বিদ্যালয়টি দুটি শিফটে বিভক্ত। সকালের শিফট সকাল 7 টা থেকে শুরু হয়ে দুপুরে শেষ হয়। দিনের শিফট বিকেলে শুরু হয় এবং বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে শেষ হয়। স্কুলের শিক্ষার্থীদের জন্য বর্ণময় ইউনিফর্ম রয়েছে। যেমনঃ নীল কামিজ পরে মর্নিং শিফট এর শিক্ষার্থীরা; দিনের শিফ্টের শিক্ষার্থীরা সবুজ কামিজ পরেন, সাদা সালোয়ার, সাদা স্কার্ফ, সাদা ক্রস-বেল্ট এবং একটি আলাদা রেড বেল্ট। মেয়েরা সাদা ফিতা দিয়ে চুল বেঁধে। পাঠক্রম বহির্ভূত কার্যক্রম সাধারণ পাঠ্যক্রম ছাড়াও স্কুল শিক্ষার্থীদের অতিরিক্ত পাঠ্যক্রমিক ক্রিয়ায় জড়িত হতে উত্সাহ দেয়। এর মধ্যে কয়েকটিতে ভাষা শেখার ( ব্রিটিশ কাউন্সিলের সাথে ), বিতর্ক, বুনন, অঙ্কন এবং গার্ল গাইড রয়েছে । ধর্মানুষ্ঠান উভয় শিফট প্রার্থনা, শপথ এবং মহড়ার এক অনন্য অনুষ্ঠান দিয়ে শুরু হয়। বিদ্যালয়ের দুটি নিয়মিত তিহ্যবাহী ড্রিলগুলি "রুমাল নৃত্য" (আক্ষরিক অর্থ রুমাল দিয়ে নাচানো) এবং কাজী নজরুল ইসলামের "রণ সংগীত" (আক্ষরিক অর্থে যুদ্ধের গান)) হিসাবে পরিচিত। সোসাইটি বিদ্যালয়টি একটি অলাভজনক বাংলাদেশী সংস্থা বিশ্ব শাহিতো কেন্দ্রোর সাথে একটি পাঠ্য গ্রুপ পরিচালনা করে যা পাঠকে উত্সাহ দেয়। খেলাধুলা এবং উদযাপন থাম্ব|শহীদ মিনার স্কুলে ড্রিলগুলির বার্ষিক ক্রীড়া দিবস কর্মক্ষমতা রয়েছে। প্রথম মেয়াদে, বালিকারা ড্রিলের প্রস্তুতির জন্য স্কুল থেকে প্রায় এক মাস সময় নেয়। সাধারণত গ্রেড় ৬ষ্ঠ থেকে ৮ ম শ্রেণি পর্যন্ত মেয়েরা এটি সম্পাদন করে। বালিকাদের সঙ্গে যেমন Luddi হিসাবে কয়েক গোষ্ঠী, বিভক্ত হয় kartals, জিপসি খঞ্জনি ও Canes সঙ্গে Lathi। বিদ্যালয়টি বার্ষিক সাংস্কৃতিক দিবস উদযাপন করে, যার মাধ্যমে বিদ্যালয়ের জাতীয়ভাবে প্রশংসিত শিশু শিল্পীদের অনেকেই সংগীত, নৃত্য, নাটক, কবিতা ইত্যাদি পরিবেশন করেন ।এটিকে ফেয়ারওয়েল ডে বলা হয়, কারণ শোটি সিনিয়র স্কুল লিভারদের শ্রদ্ধা হিসাবে আয়োজিত হয়। প্রাক্তন উল্লেখযোগ্য শিক্ষার্থী প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার, ব্রিটিশ-বিরোধী আন্দোলনের বিপ্লবী নেত্রী কল্পনা দত্ত, ব্রিটিশ-বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের বিপ্লবী নেত্রী যার বিপ্লবী মনোভাবের জন্য রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাকে অগ্নিকন্যা হিসেবে আখ্যায়িত করেছিলেন মৈত্রেয়ী দেবী : বিখ্যাত উপন্যাস ন হন্যতে- এর লেখিকা শোভনা ধর : ভারতীয় বিজ্ঞানী শিক্ষাগত কৃতিত্ব বর্তমানে এটি চট্টগ্রামের শীর্ষস্থানীয় বিদ্যালয়গুলির তালিকায় রয়েছে। ২০০৫ সালে এটি এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডে সেরা বিদ্যালয়ের মর্যাদা লাভ করে। আরো দেখুন চট্টগ্রামের বিদ্যালয়সমূহের তালিকা তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ বিষয়শ্রেণী:১৯৭৮-এ প্রতিষ্ঠিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিষয়শ্রেণী:চট্টগ্রাম মহানগরীর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
ডা. খাস্তগীর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়
বান্দোরা () ভারতের গোয়া রাজ্যের উত্তর গোয়া জেলার একটি শহর। জনসংখ্যার উপাত্ত ভারতের ২০০১ সালের আদম শুমারি অনুসারে বান্দোরা শহরের জনসংখ্যা হল ১২,২৬৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫৪% এবং নারী ৪৬%। এখানে সাক্ষরতার হার ৭১%। পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৭৭% এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৬৩%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%, তার চাইতে বান্দোরা এর সাক্ষরতার হার বেশি। এই শহরের জনসংখ্যার ১০% হল ৬ বছর বা তার কম বয়সী। তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:গোয়ার শহর
বান্দোরা
কুর্তি () ভারতের গোয়া রাজ্যের উত্তর গোয়া জেলার একটি শহর। জনসংখ্যার উপাত্ত ভারতের ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুসারে কুর্তি শহরের জনসংখ্যা হল ১৩,০৭০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫৩% এবং নারী ৪৭%। এখানে সাক্ষরতার হার ৭১%। পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৭৫% এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৬৭%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%, তার চাইতে কুর্তি এর সাক্ষরতার হার বেশি। এই শহরের জনসংখ্যার ১৩% হল ৬ বছর বা তার কম বয়সী। তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:গোয়ার শহর
কুর্তি
সালিগাও () ভারতের গোয়া রাজ্যের উত্তর গোয়া জেলার একটি শহর। জনসংখ্যার উপাত্ত ভারতের ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুসারে সালিগাও শহরের জনসংখ্যা হল ৫৫৫৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫১% এবং নারী ৪৯%। এখানে সাক্ষরতার হার ৮২%। পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৮৭% এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৭৬%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%, তার চাইতে সালিগাও এর সাক্ষরতার হার বেশি। এই শহরের জনসংখ্যার ৮% হল ৬ বছর বা তার কম বয়সী। তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:গোয়ার শহর
সালিগাও
কারচোরেম কাকোরা () ভারতের গোয়া রাজ্যের দক্ষিণ গোয়া জেলার একটি শহর। জনসংখ্যার উপাত্ত ভারতের ২০০১ সালের আদম শুমারি অনুসারে কারচোরেম কাকোরা শহরের জনসংখ্যা হল ২১,৩৯৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫১% এবং নারী ৪৯%। এখানে সাক্ষরতার হার ৭৪%। পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৭৯% এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৬৮%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%, তার চাইতে কারচোরেম কাকোরা এর সাক্ষরতার হার বেশি। এই শহরের জনসংখ্যার ১২% হল ৬ বছর বা তার কম বয়সী। তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:গোয়ার শহর
কারচোরেম কাকোরা
পুনর্নির্দেশ ২৫ ডিসেম্বর
২৫শে ডিসেম্বর
নাম্বোল () ভারতের মণিপুর রাজ্যের বিষ্ণুপুর জেলার একটি শহর। জনসংখ্যার উপাত্ত ভারতের ২০০১ সালের আদম শুমারি অনুসারে নাম্বোল শহরের জনসংখ্যা হল ১৮,১১৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫০% এবং নারী ৫০%। এখানে সাক্ষরতার হার ৬৮%। পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৭৬% এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৫৯%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%, তার চাইতে নাম্বোল এর সাক্ষরতার হার বেশি। এই শহরের জনসংখ্যার ১৩% হল ৬ বছর বা তার কম বয়সী। তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:মণিপুরের শহর
নাম্বোল
লামজাওতোংবা () ভারতের মণিপুর রাজ্যের পশ্চিম ইম্ফল জেলার একটি শহর। জনসংখ্যার উপাত্ত ভারতের ২০০১ সালের আদম শুমারি অনুসারে লামজাওতোংবা শহরের জনসংখ্যা হল ৯০৬৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৪৮% এবং নারী ৫২%। এখানে সাক্ষরতার হার ৭৪%। পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৮১% এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৬৮%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%, তার চাইতে লামজাওতোংবা এর সাক্ষরতার হার বেশি। এই শহরের জনসংখ্যার ১১% হল ৬ বছর বা তার কম বয়সী। তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:মণিপুরের শহর
লামজাওতোংবা
কাকচিং খুনৌ () ভারতের মণিপুর রাজ্যের থৌবাল জেলার একটি শহর। জনসংখ্যার উপাত্ত ভারতের ২০০১ সালের আদম শুমারি অনুসারে কাকচিং খুনৌ শহরের জনসংখ্যা হল ৯৩১৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৪৯% এবং নারী ৫১%। এখানে সাক্ষরতার হার ৫৮%। পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৭০% এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৪৮%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%, তার চাইতে কাকচিং খুনৌ এর সাক্ষরতার হার বেশি। এই শহরের জনসংখ্যার ১৪% হল ৬ বছর বা তার কম বয়সী। তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:মণিপুরের শহর
কাকচিং খুনৌ
দফাহাটা ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বর্ধমান জেলার একটি শহর। জনসংখ্যার উপাত্ত ভারতের ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুসারে দফাহাটা শহরের জনসংখ্যা হল ১১,৩২৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫০% এবং নারী ৫০%। এখানে সাক্ষরতার হার ৩৬%। পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৪৪% এবং নারীদের মধ্যে এই হার ২৭%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%, তার চাইতে দফাহাটা এর সাক্ষরতার হার বেশি। এই শহরের জনসংখ্যার ২২% হল ৬ বছর বা তার কম বয়সী। তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:পশ্চিমবঙ্গের শহর
দফাহাটা
দেউলি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মেদিনীপুর জেলার একটি শহর। জনসংখ্যার উপাত্ত ভারতের ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুসারে দেউলি শহরের জনসংখ্যা হল ৮১৬৫ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫২% এবং নারী ৪৮%। এখানে সাক্ষরতার হার ৬৯%। পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৭৭% এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৬২%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%, তার চাইতে দেউলি এর সাক্ষরতার হার বেশি। এই শহরের জনসংখ্যার ১১% হল ৬ বছর বা তার কম বয়সী। তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:পশ্চিমবঙ্গের শহর
দেউলি
ডায়মন্ড হারবার ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার একটি শহর, পৌরসভা এলাকা, একটি বিধানসভা কেন্দ্র এবং একটি লোকসভা কেন্দ্র। জনসংখ্যার উপাত্ত ভারতের ২০০১ সালের আদম শুমারি অনুসারে ডায়মন্ড হারবার শহরের জনসংখ্যা হল ৩৭,২৩৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫১%, এবং নারী ৪৯%। এখানে সাক্ষরতার হার ৭২%, । পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৭৭%, এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৬৭%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%, তার চাইতে ডায়মন্ড হারবারের সাক্ষরতার হার বেশি। এই শহরের জনসংখ্যার ১০% হল ৬ বছর বা তার কম বয়সী। বর্তমানে শহরটির পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া হুগলী নদীর পাড় কে ঢেলে সাজাতে এক গুচ্ছ পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে বর্তমান রাজ্য সরকার। এছাড়াও মহিলা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপস্থিতি ডায়মন্ড হারবারকে বিশ্ব দুয়ারে পৌছে দিয়েছে বর্তমানে। মহিলাদের পরিচালিত দুটি পেট্রোলপাম্প রয়েছে ডায়মন্ড হারবারে যা দেশের অন্যান্য জায়গার কাছে কাছে এক দৃষ্টান্তের। নারী শক্তির বিকাশে ডায়মন্ড হারবার দেশের অগ্রগামি শহর। চিকিৎস্যা ব্যবস্থা এখানে একটি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল রয়েছে। কিন্তু রোগী মৃত্যু বা আগুন লাগার ঘটনায় এটি তার সুনাম খুইয়েছে। সাগর দ্বীপ যাত্রা সাগর দ্বীপ যেতে বাবুঘাট থেকে ডায়মন্ড হারবার রোড হয়ে আমতলা, ডায়মন্ড হারবার হয়ে হারউড পয়েন্ট যেতে হয়। তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার শহর
ডায়মন্ড হারবার
ইংরেজ বাজার প্রধানত মালদা নামে অধিক পরিচিত, ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে অবস্থিত একটি শহর, শহরটিকে আমের শহরও বলা হয়ে থাকে। মালদা জেলার সদরদপ্তর এখানেই অবস্থিত। শহরটি পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চম বৃহৎ। ইংরেজ বাজার ও পুরনো মালদা পুরসভার সমন্বয়ে মালদা পৌর নিগম গঠিত। মালদা বিভাগের প্রধান কার্যালয় মালদায় অবস্থিত। ২০১৩ সালে, মালদা ভারতের প্রথম নারী আদালত যুক্ত শহর। ভূগোল ইংলিশ বাজারের অবস্থান হচ্ছে 25.00°N 88.15°E। ভূমির গড় উচ্চতা ১৭ মিটার (৫৬ ফুট)। মহানন্দা নদীর পশ্চিম তীরে অবস্থিত। সাধারনভাবে আবহাওয়া বাংলার অন্যান্য এলাকার মতোই, ক্রান্তীয় ও আর্দ্র। মে-জুনের গরমকালে ও শুষ্ক মৌসুমে তাপমাত্রা যেমন, ৪৬° ডিগ্রী সেলসিয়াসে উঠে তেমনি ডিসেম্বর-জানুয়ারির শীতকালের রাত্রীতে ৪ ডিগ্রী সেলসিয়াসে তাপমাত্রা নেমে আসে। জনসংখ্যার উপাত্ত ২০১১ সালের ভারতীয় আদমশুমারী অনুসারে ইংলিশ বাজারের জনসংখ্যা ৩,২৫,০০০ জন। ইংলিশ বাজারের গড় সাক্ষরতার হার ৭৫%। যা জাতীয় গড় ৫৯.৫% থেকে বেশি। এর শতকরা ৫১% জন পুরুষ এবং শতকরা ৪৯% জন মহিলা। পুরুষ সাক্ষরতার হার ৭৮% এবং মহিলা সাক্ষরতার হার ৭১%। ইংলিশ বাজারের ১০% জনসংখ্যা ৬ বৎসর বয়সের নিচে। ইতিহাস ইংলিশ বাজার প্রাচীন ঐতিহাসিক শহর গৌড় ও পান্ডুয়ার মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থিত। অবশ্য, ইংলিশ বাজার বহু পরে, আঠারো শতকের মাঝামাঝি সময়ে শহরের পত্তন হয়। প্রাথমিক ভাবে এই এলাকাকে ENGELZAVAD নামে অভিহিত করা হত। ১৮১৩ সালে ব্রিটিশ শাসকগন একজন জয়েন্ট ম্যাজিষ্ট্রেট ও ডেপুটি কালেক্টর নিয়ে পত্তন করেছিলেন। ১৮৩২ সালে ট্রেজারী বা সরকারী খাজাঞ্চীখানা খোলা হয়। মালদা, উত্তর বঙ্গের প্রবেশদ্বার, একসময় গৌড় বঙ্গের রাজধানী ছিল, বর্তমানে ৩৪৫৬ বর্গ কিলোমিটার এলাকা নিয়ে বেষ্টিত এই এলাকার ভূমি তাল, দিয়ারা এবং বরিন্দ নামে বিন্যাসিত। মালদা তার বিপুল সম্ভাবনানয় প্রত্নত্বাত্বিক সম্পদ নিয়ে অপেক্ষা করছে টুরিষ্ট সমাগমের ও আগ্রহী প্রত্নতত্ববিদের। গঙ্গা, মহানন্দা, ফুলাহার,কালিন্দী দ্বারা বিধৌত এই মালদা কত শত রাজা ও রাজত্বের উত্থান, জয়জয়াকার অবস্থা ও পতন আবার তাদের ধ্বংসাবশেষের উপর নতুন রাজত্বের উত্থানের সাক্ষী। পুরোনো রাজত্বের ধংশাবশেষের উপর নতুন রাজত্বের সৃষ্টির শত শত উদাহরণ আছে এই গৌড়ে। পানিণি গৌড়পুরা নামে একটি নগরের উল্লেখ করে গেছেন, একথা মেনে নেয়ার যথেষ্ট কারণ আছে যে মালদার মঘ্যে অবস্থিত প্রাচীন গৌড়-ই সুপ্রাচীন গৌড়পুরা। প্রাচীন গৌড় ও পান্ডুয়া (পূন্ড্রবর্ধন ?) এই জেলার মধ্যেই অবস্থিত। এই দুই প্রাচীন নগরী, যা মধ্য ও প্রাচীনযুগের বঙ্গের রাজধানী ছিল, ইংলিশ বাজারের উত্তর ও দক্ষিণে সমদুরত্বে অবস্থিত। গৌড়ের রাজত্বের সীমানা খ্রীষ্টপূর্ব পঞ্চম শতক থেকে বিভিন্ন সময়ে ভিন্ন ভিন্ন ছিল। পুরানেও এর নাম পাওয়া যায়। পুন্ড্রনগর মৌর্য সাম্রাজ্যের প্রাদেশিক রাজধানী ছিল। গৌড় ও পূন্ড্রবর্ধন যে মৌর্য্য সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত ছিল তা বাংলাদেশের বগুড়া জেলায় মহাস্থানগড় ধ্বংশবশেষ হতে প্রাপ্ত সীলে ব্রাহ্মী লিপিতে উৎকীর্ণ। বিখ্যাত পর্যটক হিউয়েন সাং পূন্ড্রবর্ধনে বহু অশোক স্তুপ দেখেছিলেন। অবিভক্ত দিনাজপুরে ও উত্তর বঙ্গের অন্যান্য জায়গায় প্রাপ্ত লিপি এবং এলাহাবাদ পিলার লিপি বিশ্লেষন করে দেখা যায় সমগ্র উত্তর বঙ্গসহ পূর্বের কামরূপসহ বিস্তীর্ন এলাকা গুপ্ত সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত ছিল। গুপ্তদের পরে সপ্তম শতকের প্রারম্ভে শশাঙ্ক, কর্ণসুবর্ন ও গৌড়ের রাজা, ৩০ বৎসরের অধিক সময় গৌড় শাসন করেন। অষ্টম শতকের মাঝামাঝি থেকে এগারো শতকের শেষ অবধি বৌদ্ধ ধর্মের অণুসারী পাল রাজাগণ বাংলা শাসন করেন। পালরাজাদের সময়ে জগদ্দল বিহার উত্থান ও বিকাশ লাভ করে। তার মর্যাদা সমসাময়িক নালন্দা, বিক্রমশীলা বা দেবকটের মতো ছিল। সেন রাজাদের উত্থানের ফলে পাল রাজবংশ ক্ষয়িষ্ণু হয়ে পড়ে। সেন রাজারা ছিলেন হিন্দু। তারা তাদের রাজধানী রাজত্বের মধ্যে এক এলাকা থেকে আরেক এলাকায় স্থানান্তর করতেন। লক্ষণ সেনের সময়ে গৌড় লক্ষণাবতী নামেও পরিচিত ছিল। ১২০৪ খ্রীষ্টাব্দে বখতিয়ার খিলজী বাংলা জয় করার পূর্ব পর্যন্ত সেন রাজারা বাংলা শাসন করেছেন। এরপর লর্ড ক্লাইভ বাংলার নবাব সিরাজুদ্দৌলাকে পলাশীর যুদ্ধে ১৭৫৭ সালে পরাজিত করা পর্যন্ত প্রায় পাঁচশত বৎসর বাংলায় মুসলিম শাসন বলবৎ থাকে। প্রাচীন কাল থেকেই বিভিন্ন জাতী, গোষ্ঠী, ধর্ম, রাজবংশ এই জেলায় তাদের পদাংক রেখে গেছে। তাদের গড়ে তোলা জাঁকজমকপূর্ন বিশাল বিশাল ধ্বংশ প্রায় অট্টালিকা এখনো বিদ্যমান। যা প্রত্বতত্ববিদ ও পর্যটকদের খুবই আগ্রহের বিষয়। মালদহ জেলা পূর্ণিয়া, দিনাজপুর ও রাজশাহী জেলার কিছু কিছু অংশ নিয়ে ১৮১৩ সালে গঠিত। ডঃ বি, হ্যামিল্টন এর সময়ে (১৮০৮-০৯) গাজোল, মালদা, বামনগোলা ও হাবিবপুরের কিয়দংশ দিনাজপুর জেলার অন্তর্ভুক্ত করা হয়। একই সঙ্গে হরিশ্চন্দ্রপুর, খারবা, রতুয়া, মানিকচক এবং কালিয়াচক পূর্ণিয়া জেলার অন্তর্ভুক্ত করা হয়। কালিয়াচক ও সাহেবগঞ্জ থানায় এবং নদী অঞ্চলে অপরাধের মাত্রা ব্যাপক বেড়ে যাওয়ার ফলে কোম্পানী ১৮১৩ সালে একজন ডেপুটি ম্যাজিষ্টেট ও ডেপুটি কালেক্টর ইংলিশ বাজারে নিয়োগ করে। তার অধিক্ষেত্র হয় ইংলিশ বাজারকে কেন্দ্র করে উল্লেখিত জেলাসমূহ থেকে নেয়া কয়েকটি থানা। মূলতঃ এইভাবেই মালদা জেলার সৃষ্টি। ১৮৩২ সালে এখানে পৃথক রাজকোষ প্রতিষ্ঠা এবং ১৮৫৯ সালে একজন পূর্নাঙ্গ ম্যাজিষ্ট্রট ও কালেক্টর নিয়োগ করা হয়। ১৮৭৬ সাল পর্যন্ত মালদা জেলা রাজশাহী বিভাগের অন্তর্ভুক্ত ছিল। ১৮৭৬ থেকে ১৯০৫ পর্যন্ত ভাগলপুর বিভাগের অধীন ছিল। ১৯০৫ সালে পুনরায় রাজশাহী বিভাগের অধীনে আসে এবং ১৯৪৭ সালের ভারত স্বাধীন হওয়া পর্যন্ত তা রাজশাহী বিভাগের অধীনে ছিল। ১৯৪৭ সালে ভারত স্বাধীন হলে আবার এই জেলা ভাগাভাগি হয় । ১৯৪৭ সালের আগস্ট ১২ থেকে ১৫ই তারিখ পর্যন্ত র‌্যাডক্লিফ লাইন এটা পরিষ্কার করতে পারে নাই যে মালদা জেলা পাকিস্তান না ভারতের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হবে। র‌্যডক্লিফ রোয়েদাদ পূর্নাঙ্গ প্রকাশিত হবার পূর্ব পর্যন্ত এই স্বল্প কয়েকদিন মালদা জেলা তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান এর একজন ম্যাজিষ্ট্রেটের অধীনে ছিল। এরপর ১৭ই আগস্ট ১৯৪৭ তা পশ্চিম বঙ্গের অংশ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়। রেল ও রাস্তা ইংলিশ বাজারের সঙ্গে রেল ও রাস্তার যোগাযোগ অন্যান্য এলাকার সঙ্গে বেশ ভালো। এখানে পূর্ব রেলওয়ের মালদা বিভাগীয় কার্যালয় অবস্থিত। উত্তর বঙ্গের ও ভারতের উত্তর পুর্বাঞ্চলের দিকে চলাচলকারি প্রায় সকল ট্রেনই মালদা শহরের মধ্যে দিয়ে যাতায়াত করে। (মালদা স্টেশন কোড- MLDT) ইংলিশ বাজার পশ্চিম বঙ্গের উত্তর-দক্ষিণ সংযোগকারী জাতীয় প্রধান সড়ক-৩৪ উপর অবস্থিত। শহরটি কলকাতার প্রায় ৩৪৭ কিলোমিটার উত্তরে ও শিলিগুড়ির প্রায় ২৫৬ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত। গৌড়কন্যা বাস টার্মিনাস মালদা টাউন রেলওয়ে স্টেশন শিক্ষা বিদ্যালয় যদিও মালদা জেলার অধিবাসীগণ পশ্চিম বঙ্গের অন্যান্য জেলা থেকে কম শিক্ষিত, তবে এখানে বেশ কয়েকটি প্রদেশ খ্যাত স্কুল আছে। মালদা জিলা স্কুল ১৮৫৮ সালে প্রতিষ্ঠিত, বর্তমানে যেটি পুলিশ সুপারের বাসভবন সেখানেই ছিল স্কুলের প্রথম দালান , স্কুল শুরু হয় দুই তিনটা পাকাঘর ও কয়েকটি খড়ের ঘর দিয়ে। এর উত্তর, দক্ষিণ ও পশ্চিমে ঘেরা দেয়া ছিল। ১৮৯৭ সালে স্কুল বর্তমান জায়গায় উঠে আসে। তখন এগারটি ঘর ও মাঠ সংলগ্ন একটি হল ঘর ছিল। ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত এই দালানটি "মেইন বিল্ডিং" নামে পরিচিত ছিল। পরে স্কুলের বিখ্যাত ছাত্র প্রফেসর বিনয় সরকারের নামে নামকরণ করা হয়- বিনয় সরকার ভবন। বর্তমানে এটি প্রশাসনিক কাজকর্মে ব্যবহৃত হয়। জগদিশচন্দ্র ভবন, রামমোহন ভবন, বিদ্যাসাগার ভবন ও নজরুল ভবন মিলিয়ে মোট ২৪টি ক্লাশরুম আছে। স্কুলের প্রভাতী শাখা হচ্ছে প্রথম শ্রেণী থেকে পঞ্চম শ্রেণী, দিবা শাখা ষষ্ঠ শ্রেনী হতে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত। উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণীতে প্রচলিত তিন প্রকার বিভাগেই শিক্ষাদান করা হয়- বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্য বিভাগ। ১৮৯৭ সাল থেকেই স্কুলে আলাদাভাবে হিন্দু ও মুসলিম হোষ্টেল ছিল, তবে বর্তমানে তা একত্রিকরণ করে মালদা জিলা স্কুল হোষ্টেল নামে অভিহিত করা হচ্ছে। হোষ্টেলে চল্লিশ জন একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রের আর কয়েকজন নিম্ন শ্রেণীর ছাত্রের থাকার বন্দোবস্ত আছে। হোষ্টেল ইউনিট ১ ও ইউনিট ২ ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। স্কুলের বিখ্যাত ছাত্র বিনয় সরকার অসীম দাসগুপ্ত সুভাষ ভৌমিক রমেশ চন্দ্র ঘোষ, এম,এ,বি,এল। আইনজীবি, রাজনীতিবিদ এবং নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বোসের সহযোদ্ধা রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দ বিদ্যামন্দির বার্লো গার্লস স্কুল, অক্রূরমণি করোনেশন ইনষ্টিটিউশন, ললিতমোহন মালদা টাউন স্কুল, সি,সি, গার্লস হাই স্কুল, সেন্ট জেভিয়ার (ইরেজি মাধ্যম), সেন্ট মেরী স্কুল(ইংরেজি মাধ্যম), ড্যাফডিল ইংলিশ একাডেমী, মালদা হাই মাদ্রাসা এবং উষা মার্টিন স্কুল(সিবিএসই) জেলার কয়েকটি নামকরা স্কুল। কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় উত্তর বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজসমূহের মধ্যে মালদা কলেজ একটি প্রথম সারির কলেজ ছিল। বর্তমানে এই জেলায় গৌড় বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় অবস্থিত, যার অধিভুক্ত কলেজগুলো জেলা ও জেলার বাইরে দক্ষিণ ও উত্তর দিনাজপুরে অবস্থিত। মালদা শহরে একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ও কয়েকটি ব্যক্তিগত মালিকানাধীন টেকনিক্যাল ইন্সটিটিউশন আছে, যেগুলো বেশির ভাগই কম্পিউটার সংক্রান্ত। দীর্ঘ দিন ধরে একটি মেডিক্যাল কলেজ প্রতিষ্ঠা করা সরকারের বিবেচনায় আছে। মালদা কলেজ গৌড় বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বিখ্যাত কলেজ। ২০০৭ সালে পশ্চিম বঙ্গ সরকার মালদা জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নেয়। সুরম্য দালানকোঠা নিয়ে মালদা আই, এম, পি, এস, কলেজ অব ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজী ২০০৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। মালদার বিখ্যাত কয়েকটি কলেজ়ের মধ্যে মালদা উইমেন্স কলেজ, গৌড় কলেজ, শামসী কলেজ, চাঁচোল কলেজ, দক্ষিণ মালদা কলেজ, সুলতানগঞ্জ কলেজ এবং পাকুয়া কলেজ উল্লেখযোগ্য। মালদা পলিটেকনিক নামে সরকারী একটি পলিটেকনিক কলেজ ও মালদায় আছে। শামসীতে গত ২৯।০১।২০১১ তারিখে একটি নতুন পলিটেকনিক কলেজের শিলান্যাস হয়েছে, নাম দেয়া হয়েছে 'রতুয়া সত্যেন্দ্রনাথ বোস সরকারি পলিটেকনিক কলেজ'। মালদা জিলা স্কুলের বিখ্যাত ছাত্র রমেশ চন্দ্র ঘোষ যিনি বিনয় সরকারের সমসাময়িক ছিলেন। তিনি একজন আইনজীবি, এম,এ, বি এল। . তৎকালীন মালদা জেলার চাঁপাই নবাবগঞ্জে ওকালতি করতেন। তিনি একজন রাজনীতিবিদ ছিলেন এবং "ভারত ছাড় আন্দোলন"- এর সময় কারাবরণ করেন। তিনি নেতাজী সুভাষ চন্দ্র ঘোষের সহকর্মী ছিলেন। তিনি ১০ই ফেব্রুয়ারি ১৯৬৫ সালে মালদা শহরে মারা যান। পৌর প্রশাসন ইংলিশ বাজার একটি পৌরসভা। এর ২৯টি ওয়ার্ড আছে। বর্তমানে তৃৃৃৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত । আরও দেখুন ইংলিশ বাজার (সমাজ উন্নয়ন ব্লক) তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ http://malda.nic.in/ বিষয়শ্রেণী:মালদা জেলার শহর বন্দর বিষয়শ্রেণী:মালদা রেলওয়ে ডিভিশন বিষয়শ্রেণী:ভারতীয় রেলপথ বিভাগগুলি বিষয়শ্রেণী:ইষ্টার্ন রেলওয়ে (ইন্ডিয়া) জোন
ইংরেজ বাজার
গায়েশপুর ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের নদিয়া জেলার একটি শহর ও পৌরসভা এলাকা। জনসংখ্যার উপাত্ত ভারতের ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুসারে গায়েশপুর শহরের জনসংখ্যা হল ৫৫,০২৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫১% এবং নারী ৪৯%। এখানে সাক্ষরতার হার ৮১%। পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৮৫% এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৭৬%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%, তার চাইতে গায়েশপুর এর সাক্ষরতার হার বেশি। এই শহরের জনসংখ্যার ৮% হল ৬ বছর বা তার কম বয়সী। তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:পশ্চিমবঙ্গের শহর
গয়েশপুর
গুড়িয়াহাটি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কুচবিহার জেলার একটি শহর। জনসংখ্যার উপাত্ত ভারতের ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুসারে গুড়িয়াহাটি শহরের জনসংখ্যা হল ১৮,৮৯৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫১% এবং নারী ৪৯%। এখানে সাক্ষরতার হার ৭৩%। পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৭৮% এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৬৭%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%, তার চাইতে গুড়িয়াহাটি এর সাক্ষরতার হার বেশি। এই শহরের জনসংখ্যার ১১% হল ৬ বছর বা তার কম বয়সী। তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:পশ্চিমবঙ্গের শহর বিষয়শ্রেণী:কোচবিহার জেলার শহর
গুড়িয়াহাটি
হাটগাছা ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের হাওড়া জেলার একটি শহর। জনসংখ্যার উপাত্ত ভারতের ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুসারে হাটগাছা শহরের জনসংখ্যা হল ৫৫৬০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫৩% এবং নারী ৪৭%। এখানে সাক্ষরতার হার ৮০%। পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৮৪% এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৭৫%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%, তার চাইতে হাটগাছা এর সাক্ষরতার হার বেশি। এই শহরের জনসংখ্যার ৯% হল ৬ বছর বা তার কম বয়সী। তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:পশ্চিমবঙ্গের শহর
হাটগাছা
জগতাজ ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুর্শিদাবাদ জেলার অন্তর্গত একটি জন যাত্রীর শহর। জনসংখ্যার উপাত্ত ভারতের ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুসারে জগতাজ শহরের জনসংখ্যা হল ৯৪০৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫০% এবং নারী ৫০%। এখানে সাক্ষরতার হার ৩৭%। পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৪৫% এবং নারীদের মধ্যে এই হার ২৯%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%, তার চাইতে জগতাজ এর সাক্ষরতার হার বেশি। এই শহরের জনসংখ্যার ১৯% হল ৬ বছর বা তার কম বয়সী। তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:পশ্চিমবঙ্গের শহর
জগতাজ
ঝাড়গ্রাম ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের ঝাড়গ্রাম জেলার একটি মহকুমা শহর ও পৌরসভা এলাকা । ভৌগোলিক উপাত্ত শহরটির অবস্থানের অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমাংশ হল । সমূদ্র সমতল হতে এর গড় উচ্চতা হল ৮১ মিটার (২৬৫ ফুট)। জনসংখ্যার উপাত্ত ভারতের ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুসারে ঝাড়গ্রাম শহরের জনসংখ্যা হল ৫৩,১৫৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫১%, এবং নারী ৪৯%। এখানে সাক্ষরতার হার ৭৬%, । পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৮২%, এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৭১%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%, তার চাইতে ঝাড়গ্রাম এর সাক্ষরতার হার বেশি। এই শহরের জনসংখ্যার ১১% হল ৬ বছর বা তার কম বয়সী। আরও দেখুন গোপীবল্লভপুর তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার শহর
ঝাড়গ্রাম
কালনা পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব বর্ধমান জেলার একটি পৌর অঞ্চল তথা জেলার কালনা মহকুমার সদর। ভাগীরথীর পশ্চিম তীরে অবস্থিত এই শহরটি অম্বিকা কালনা নামে জনপ্রিয়। পঞ্চদশ-ষোড়শ শতকে এই স্থানটি উল্লিখিত হয়েছে আম্বুয়া বা অম্বুয়া মুলুক নামে। স্থানীয় দেবী অম্বিকার নামানুসারেই শহরের এই নামকরণ। জেলাসদর বর্ধমান শহরের থেকে প্রায় ৬০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত কালনায় একাধিক দর্শনীয় স্থান রয়েছে। এগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল কালনার রাজবাড়ি, প্রতাপেশ্বর মন্দির, কৃষ্ণচন্দ্রজি মন্দির, লালজি মন্দির ও ১০৮ শিবমন্দির। ঐশ্বর্যপূর্ণ পোড়ামাটির মন্দির দ্বারা সমৃদ্ধ অম্বিকা কালনাকে আসলে “মন্দিরের শহর” বলা হয়। ভূগোল যে অক্ষ ও দ্রাঘিমাংশে কালনা শহর অবস্থিত তা হল :। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এই অঞ্চলের গড় উচ্চতা ১১ মিটার বা ৩৬ ফুট। রেল ও সড়কপথে কালনায় যাবার সুব্যবস্থা আছে। রেলপথে হাওড়া থেকে কাটোয়া পর্যন্ত প্রসারিত একটি লুপ লাইনের দ্বারা কালনা সংযুক্ত। হাওড়া থেকে ৮১ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত অম্বিকা কালনা স্টেশনটি এই শহরের প্রধান রেলওয়ে স্টেশন। বেশ কয়েকটি লোকাল ও এক্সপ্রেস ট্রেন অম্বিকা কালনার উপর দিয়ে যায় এবং সেগুলির প্রায় প্রতিটিই এই স্টেশনে থামে। সড়ক পথে ব্যান্ডেল, পাণ্ডুয়া, বৈঁচি, মেমারি ও বর্ধমান থেকে এই শহরে যাওয়া যায়। কালনার শহরের পাশ দিয়ে পশ্চিমবঙ্গের ৬ নম্বর রাজ্য মহাসড়ক চলেগেছে। বর্ধমান জেলার অংশ কালনা শহরটি নদিয়া ও হুগলি জেলার সীমানার খুব কাছাকাছি অবস্থান করছে। বিখ্যাত তীর্থস্থান নবদ্বীপ ও মায়াপুর কালনার খুব কাছেই অবস্থিত। ভাগীরথী, অজয় ও দামোদর নদের মধ্যবর্তী কৃষিসমৃদ্ধ পলল সমভূমিতে কালনার অবস্থান। এই অঞ্চলের তাপমাত্রা শীতকালে ১৭°-১৮° ও গ্রীষ্মকালে ৩০°-৩২°-এর কাছাকাছি থাকে। জনপরিসংখ্যান ২০০১ সালের জনগণনা অনুসারে, কালনার জনসংখ্যা ৫২,১৩৬। এর মধ্যে পুরুষ ৫১% ও মহিলা ৪৯%। কালনার সার্বিক সাক্ষরতার হার ৭৭% ; যা জাতীয় গড় ৫৯.৫%-এর চেয়ে অনেকটাই বেশি। পুরুষ সাক্ষরতার হার ৮২% ও মহিলা সাক্ষরতা ৭২%। কালনার জনসংখ্যার ৯%-এর বয়স ৬ বছরের নিচে। পঞ্চাশের দশকে পূর্ব পাকিস্তান থেকে আগত শরণার্থীদের জনস্রোত এই অঞ্চলের জনসংখ্যার বৃদ্ধি ঘটাতে সাহায্য করেছিল। দ্রষ্টব্য প্রতি বছর বৈশাখ মাসের শেষ শনিবারে দেবী ভবানীর মন্দিরে বিশেষ পূজা আয়োজিত হয়। এই প্রথাটিকে জনপ্রিয়তা দিয়েছিলেন ভবা পাগলা নামক জনৈক সাধু। দেবী ভবানী মন্দিরের কাছেই শ্রীগৌরাঙ্গ মন্দির। এখানে রক্ষিত আছে চৈতন্যদেবের পাণ্ডুলিপি ও ব্যবহৃত সামগ্রী। আর একটি দ্রষ্টব্য স্থান হল সিদ্ধেশ্বরী মন্দির। এটিই দেবী অম্বিকার মন্দির, যাঁর নামে কালনা শহর অম্বিকা কালনা নামে পরিচিত। কালনা শহরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন আকর্ষণ হল নবকৈলাশ বা ১০৮ শিবমন্দির। ১৮০৯ সালে মহারাজ তেজচন্দ্র বাহাদুর এই ইঁটের তৈরি আটচালা মন্দিরগুলি নির্মাণ করেন। মন্দিরগুলি দুটি বৃত্তের আকারে বিন্যস্ত। একটি বৃত্তে ৭৪টি ও অপর বৃত্তে ৩৪টি মন্দির অবস্থান করছে। প্রথমোক্ত বৃত্তের মন্দিরগুলিতে প্রতিষ্ঠিত শিবলিঙ্গগুলি শ্বেত অথবা কষ্টিপাথরে ; কিন্তু শেষোক্ত বৃত্তের মন্দিরগুলিতে প্রতিষ্ঠিত শিবলিঙ্গগুলি কেবলমাত্র শ্বেত পাথরেই নির্মিত। মন্দিরের সুপরিকল্পিত নকশার কারণে সবকটি শিবলিঙ্গই মন্দির-চত্বরের কেন্দ্র থেকে দেখা যায়। সম্ভবত জপমালার প্রতীক হিসেবে মন্দিরগুলি উপস্থাপিত হয়েছে। ১৭৫১-৫২ সালে প্রতিষ্ঠিত ২৫টি চূড়বিশিষ্ট কৃষ্ণচন্দ্র মন্দির কালনার অপর জনপ্রিয় দ্রষ্টব্য। এই জমকালো ইঁটের তৈরি পঞ্চ-বিংশতি রত্ন মন্দিরটির সামনে সংলগ্ন রয়েছে অপূর্ব অলঙ্করণে সমৃদ্ধ ত্রিখিলান প্রবেশ পথ বিশিষ্ট ঢালা ছাদের প্রলম্বিত বারান্দা। মন্দিরের গা অলঙ্কৃত মহাকাব্য ও পুরাণের বিভিন্ন দৃশ্যসম্বলিত পোড়ামাটির ফলকে সমৃদ্ধ। এছাড়াও ১৭৩৯ সালে প্রতিষ্ঠিত ২৫টি চূড়াবিশিষ্ট অপর মন্দির লালজি মন্দির এবং ১৮৪৯ সালে প্রতিষ্ঠিত রেখ দেউলের নিদর্শন প্রতাপেশ্বর মন্দিরও উল্লেখযোগ্য। প্রাকার বেষ্টিত প্রাঙ্গনে ১৭৩৯ খ্রিষ্টাব্দে নির্মিত এই পঞ্চবিংশতি-রত্ন লালজি মন্দির সম শ্রেণীভুক্ত মন্দিরগুলির মধ্যে প্রাচীনতম। মন্দিরের সামনে রয়েছে একটি নাটমণ্ডপ এবং আর একটি পর্বতাকৃতি মন্দির যা গিরিগোবর্ধন নামে পরিচিত। মূল মন্দিরটি পোড়ামাটির অলঙ্করণে মণ্ডিত। এই ছবিতে কিছু পোড়ামাটির কাজের নমুনা দেখা যাচ্ছে। অন্যদিকে উঁচু ভিত্তির উপর উত্থিত এক খিলান প্রবেশ পথ ও ঈষৎ বক্র শিখর সমন্বিত প্রতাপেশ্বর মন্দিরটি ঊনবিংশ শতকের রেখ দেউলের একটি উৎকৃষ্ট উদাহরণ। মন্দিরের গায়ে রয়েছে পোড়ামাটির জমকালো অলঙ্করণ। মন্দিরের কাছেই রয়েছে একটি ছাদবিহীন রাসমঞ্চ। মাইজির বাড়ি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৭৫২ সালে। এই বাড়িতেই প্রতিষ্ঠিত শ্যামচাঁদ রাধারানি মন্দির। এ বাড়ির ঐতিহ্য তিনশো বছরেরও বেশি পুরনো। আজও দোল পূর্ণিমা, রথযাত্রা, ঝুলন পূর্ণিমা, অন্নকূট ও রাস বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনায় পালিত হয় এখানে। এই উপলক্ষে এখানে উপস্থিতও হন বর্ণ, ধর্ম, জাতি নির্বিশেষে সমাজের সকল স্তরের মানুষ। প্রজাপতি বাড়িও বিশেষ পরিচিত। এই দর্শনীয় বিরাট বাড়িটির বৈশিষ্ট্য একটি বিরাটাকার প্রজাপতি প্রতীক। এই বাড়ির মালিক হেমন্ত বন্দ্যোপাধ্যায় সুর ও সাথি সংগঠনেরও মালিক। তার ভাই অপূর্ব বন্দ্যোপাধ্যায় ১৯৪৭ সালে এই বাড়িতে কালীপূজার সূচনা করেন। শিক্ষা ১৯৪৩ সালে প্রতিষ্ঠিত কালনা কলেজ এই অঞ্চলের অন্যতম প্রাচীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ এই কলেজটি ন্যাক-এর বিচারে বি++ কলেজের মর্যাদাপ্রাপ্ত। এছাড়াও কালনায় বিভিন্ন মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্কুল আছে। এই অঞ্চলের উল্লেখযোগ্য স্কুলগুলি হল : মহারাজা হাইস্কুল অম্বিকা মহিষমর্দিনী হাইস্কুল হিন্দু গার্লস হাইস্কুল মহিষমর্দিনী বয়েজ ইনস্টিটিউশন মহিষমর্দিনী গার্লস ইনস্টিটিউশন নিগমানন্দ হাইস্কুল শশীবালা সাহা হাইস্কুল মায়াসুন্দরী হাইস্কুল গজলক্ষ্মী হাইস্কুল অ্যাকমে অ্যাকাডেমি (আইসিএসসি অনুমোদিত) অর্থনীতি বর্ধমান জেলার কালনা ও নদিয়া জেলার শান্তিপুর সুদূর অতীতকাল থেকেই হস্তচালিত তাঁত-ঐতিহ্যের জন্য বিখ্যাত। সেই কারণেই দেশভাগের পর ঢাকা থেকে অনেক দক্ষ তাঁতশিল্পী এই অঞ্চলে চলে এসে বসতি স্থাপন করেন। সরকারি উৎসাহ ও অর্থসাহায্যে তারা তাদের বংশগত পেশার পুনরুজ্জীবন ঘটান এবং এই অঞ্চলের অসামান্য তাঁত শিল্পেরও নবজন্ম ঘটে। শান্তিপুর, ফুলিয়া, সমুদ্রগড়, ধাত্রীগ্রাম ও অম্বিকা কালনায় আজও অপূর্ব নকশা ও রঙের সূক্ষ্ম মসৃণ টেক্সটাইল ও শাড়ি উৎপাদিত হয়ে চলেছে। কালনার খ্যাতি টাঙ্গাইল ও জামদানি শাড়ির জন্য। সমবায় ও বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে উৎপন্ন দ্রব্য বাজারে পাঠানো হয়। রক্ষাবন্ধনী ও বিন্দি কালনায় উৎপাদিত হয়। এই শিল্প এই অঞ্চলের একপ্রকার কুটির শিল্প। অনেক মানুষ, বিশেষত মহিলারা এই শিল্পের সঙ্গে নিজেদের যুক্ত করে জীবিকা নির্বাহ করেন। রাজনীতি সিপিআই(এম) প্রার্থী অঞ্জলি মন্ডল ২০০৬ সালে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল কংগ্রেসের আশিষ চক্রবর্তীকে পরাস্ত করে কালনা বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জয়লাভ করেন। এর আগে সিপিআই(এম)-এর অঞ্জু কর ২০০১, ১৯৯৬, ১৯৯১, ১৯৮৭ ও ১৯৮২ সালে এই আসনে জয়লাভ করেছিলেন। এই নির্বাচনগুলিতে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীরা ছিলেন তৃণমূলের শ্রীধর বন্দ্যোপাধ্যায় (২০০১), কংগ্রেসের লক্ষণকুমার রায় (১৯৯৬), কংগ্রেসের ধীরেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় (১৯৯১ ও ১৯৮৭) ও কংগ্রেসের সুধীর ঘোষ (১৯৮২)। ১৯৭৭ সালে সিপিআই(এম)-এর গুরুপ্রসাদ সিংহরায় জেএনপি-র দেবেন্দ্রবিজয় ঘোষকে পরাস্ত করে আসনটি দখল করেছিলেন। ১৯৭২ সালে কংগ্রেসের নুরুল ইসলাম মোল্লা এই আসনটিতে জয়লাভ করেন। সিপিআই(এম)-এর হরেকৃষ্ণ কোঙার এই আসনটি জিতেছিলেন ১৯৭১, ১৯৬৯, ১৯৬৭, ও ১৯৬২ সালে (সিপিআই প্রার্থী হিসেবে) । ১৯৫৭ ও ১৯৫১ সালে এটি ছিল দুই সদস্যবিশিষ্ট আসন। ১৯৫৭ সালে সিপিআই-এর হরেকৃষ্ণ কোঙার ও জমাদার মাঝি এই আসন থেকে জয়লাভ করেন। ১৯৫১ সালে জিতেছিলেন কংগ্রেসের বৈদ্যনাথ সাঁওতাল ও রাসবিহারী। কাটোয়া বিধানসভা কেন্দ্রটি কাটোয়া লোকসভা কেন্দ্রের একটি অংশ। স্বাস্থ্য ও স্বাস্থ্য পরিষেবা কালনা মহকুমায় চিকিৎসার প্রধান কেন্দ্র কালনা মহকুমা হাসপাতাল। হাসপাতালটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৭১ সালে। এসটিকেকে রোডের ধারে ১৩.৫৩ একর জমির উপর অবস্থিত এই হাসপাতালে মোট ৩০০টি বেড আছে। বর্ধমান জেলার যে সকল অঞ্চলের ভূগর্ভস্থ জলে আর্সেনিক দূষণ পাওয়া গেছে কালনা তার মধ্যে অন্যতম। আরও দেখুন কালনা মহকুমা বহিঃসংযোগ বর্ধমান জেলার মানচিত্র কালনার ওয়েবসাইট কালনা কলেজের ওয়েবসাইট তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:পশ্চিমবঙ্গের শহর বিষয়শ্রেণী:পূর্ব বর্ধমান জেলা বিষয়শ্রেণী:পূর্ব বর্ধমান জেলার শহর বিষয়শ্রেণী:পশ্চিমবঙ্গের পর্যটনকেন্দ্র
কালনা
কসবা ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের উত্তর দিনাজপুর জেলার একটি শহর। জনসংখ্যার উপাত্ত ভারতের ২০০১ সালের আদম শুমারি অনুসারে কসবা (উত্তরবঙ্গ) শহরের জনসংখ্যা হল ৯৮৪২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫৩% এবং নারী ৪৭%। এখানে সাক্ষরতার হার ৭৩%। পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৭৯% এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৬৭%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%; তার চাইতে কসবা (উত্তরবঙ্গ) এর সাক্ষরতার হার বেশি। এই শহরের জনসংখ্যার ১১% হল ৬ বছর বা তার কম বয়সী। তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:পশ্চিমবঙ্গের শহর
কসবা, উত্তর দিনাজপুর
খাঁদরা বা খাঁদ্রা (ইংরেজি: Khandra) ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বর্ধমান জেলার একটি শহর। জনসংখ্যার উপাত্ত ভারতের ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুসারে খাঁদ্রা শহরের জনসংখ্যা হল ১৩,৪৯০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫৪% এবং নারী ৪৬%। এখানে সাক্ষরতার হার ৫৭%। পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৬৬% এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৪৬%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%, তার চাইতে খাঁদ্রা এর সাক্ষরতার হার বেশি। এই শহরের জনসংখ্যার ১৩% হল ৬ বছর বা তার কম বয়সী। তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:পশ্চিমবঙ্গের শহর
খাঁদ্রা
কোন্নগর ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের হুগলী জেলার একটি শহর ও পৌরসভা এলাকা। কোন্নগর ডিরোজিওর 'নব্যবঙ্গ'র অন্যতম সদস্য মহাত্মা শিবচন্দ্র দেবের জন্মস্থান। শিবচন্দ্র দেবকে কোন্নগরের রূপকার তথা জনক ও বলা চলে। শহরের গঠনে তার অবদান সর্বাধিক। শতাব্দী প্রাচীন কোন্নগর উচ্চবিদ্যালয়,বালিকা বিদ্যালয়,পাবলিক লাইব্রেরি অথবা রেলস্টেশন সবার পেছনেই তার অবদান। এই পাঁচশো বাছরেরও প্রাচীন শহর শ্রী অরবিন্দের পৌতৃক ভিটেও বটে। গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ তার পিতা মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথের সাথে এখানে এসেছিলেন উনিশ বছর বয়সে।তাছাড়া ছোট্টবেলায় কোলকাতায় কলেরার প্রকোপ দেখা দিলেও ছোট্ট রবিকে এই শহরে আনা হয়েছিল।তখন অবশ্য এ শহর সামান্য গ্রামই ছিল এবং কল্পনাপ্রবণ কবিকে মুগ্ধ করেছিল।তাছাড়া বিখ্যাত লেখক শিব্রাম চক্রবর্তিও এখানে কিছু বছর ছিলেন। ভৌগোলিক উপাত্ত/অবস্হান শহরটির অবস্থানের অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমাংশ হল । সমূদ্র সমতল হতে এর গড় উচ্চতা হল ১৪ মিটার (৪৫ ফুট)। কোন্নগরের অক্ষাংশ ২২.৭০০৪৭৪, এবং দ্রাঘিমাংশ হল ৮৮.৩১৯০৬৯। কোন্নগর ২২ ° ৪২ '১.৭০৬৪' 'উত্তর এবং ৮৮ ° ১৯' ৮.৬৪৮৪ '' পূর্ব জিপিএস স্থানাঙ্কের সাথে রয়েছে। শহরটি হাওড়া-ব্যান্ডেল অথবা হাওড়া-বর্ধমান শাখার স্টেশন রিষড়া এবং শ্রীরামপুরের মাঝে অবস্হিত। গঙ্গা তথা হুগলী নদীর পশ্চিম পার্শ্বে এবং সোদপুর শহরের বিপরীত দিকে এর অবস্হান। জনসংখ্যার উপাত্ত ভারতের ২০১১ সালের আদম শুমারি অনুসারে কোন্নগর শহরের সর্বমোট জনসংখ্যা হল ৭৬, ১৭২ যার মধ্যে পুরুষ ৩৮, ৬৫৩ জন (৫২%) এবং নারী ৩৭, ৫১৯ জন (৪৮%) । লিঙ্গানুপাত ভেদে মহিলা ৯৭১ যা রাজ্যের অনুপাত ৯৫০ র চেয়ে বেশি এবং লিঙ্গানুপাত ভেদে শিশু ৯৪৬ যা রাজ্যের অনুপাত ৯৫৬ র চেয়ে কম। ১৯ টি ওয়ার্ড সম্বলিত এই পৌরশহরে কম-বেশি ১৯,৭৯৬ টি আবাসগৃহ রয়েছে। এই শহরের জনসংখ্যার ৮% হল ০-৬ বছর বয়সী ৫৮১৫ সংখ্যক শিশু। শিক্ষার হার এখানে স্বাক্ষরতার হার ৯০.৮৪%। পুরুষদের মধ্যে স্বাক্ষরতার হার ৯৩.৫৯% এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৮৮.০১%। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের গড় স্বাক্ষরতার হার ৭৬.২৬%। তার চাইতে কোন্নগর এর স্বাক্ষরতার হার বেশি। বিখ্যাত ব্যক্তিবর্গ ১৯৫২ সালের ভাষা শহীদ শফিউর রহমান ভারতীয় ভূতত্ত্ববিদ শশীভূষণ চ্যাটার্জী সংগীত শিল্পী জগমোহন তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:পশ্চিমবঙ্গের শহর বিষয়শ্রেণী:হুগলী জেলার শহর
কোন্নগর, হুগলী
অ্যাকনড্রাইটকে বাংলায় পাথুরে উল্কা বলে অভিহিত করা হয়। এটি এমন ধরনের উল্কাকে নির্দেশ করে যারা কোন গ্রহ বা গ্রহাণু থেকে জন্মলাভ করেছে। জাগতিক কৃষ্ণশিলা এবং প্লুটোনীয় শিলা দ্বারা এর মূলভাগ গঠিত হয়। কনড্রাইটের সাথে তুলনা করলে দেখা যায় এগুলো উল্কার মূলদেহের মধ্যে বা তার উপরেই ক্ষুদ্র বা মাঝেমধ্যে বৃহৎ পরিসরে বিশেষ ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র আকারে ছিন্নায়িত এবং প্রক্রিয়াজাত। এর কারণ হিসেবে গলন এবং পুনঃকেলাসায়নকে দায়ী করা হয়। এর ফলশ্রুতিতে অ্যাকনড্রাইটের অনন্য এক ধরনের বিন্যাস এবং খনিজ বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা আগ্নেয় পদ্ধতিকে সুস্পষ্টভাবেই নির্দেশ করে। প্রাচুর্য শতকরা প্রায় আট ভাগ উল্কাকে অ্যাকনড্রাইট হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় দুই তৃতীয়াংশই হল এইচইডি উল্কা যারা ৪ ভেস্তা নামক গ্রহাণুর শক্ত উপরিভাগ থেকে উৎপত্তি লাভ করে। অ্যাকনড্রাইটের মাধ্যমে ব্যখা করা যায় এমন অন্যান্য ধরনের কিছু ইল্কার মধ্যে রয়েছে মঙ্গল গ্রহ এবং চন্দ্রের উল্কাসমূহ যারা অচিহ্নিত কিছু উল্কা থেকে উৎপত্তি লাভ করেছে। কোন গ্রহাণু থেকে এরা উৎপত্তি লাভ করেছে তার ভিত্তিতে এদেরকে বিভিন্ন শ্রেণীতে ভাগ করা হয়। এই শ্রেণীবিভাগ উৎপাদক গ্রহাণুস্থিত লোহা এবং ম্যাঙ্গানিজ এর পরিমাণের অণুপাত এবং অক্সিজেনের ১৭ ও ১৮ ভরসংখ্যাবিশিষ্ট আইসোটোপসমূহের পরিমাণের অণুপাতের উপর নির্ভর করে। শ্রেণীবিভাগ অ্যাকনড্রাইটসমূহকে নিম্নোক্ত শ্রেণীসমূহে ভাগ করা হয়: আদিম অ্যাকনড্রাইট (পিএসি শ্রেণী) অ্যাকিপুলোকয়েটস লোড্রানাইটস ব্রাকিনাইটস উইনোনাইটস ইউরিলাইটস এইচইডি উল্কা (ভেস্তা) হাওয়ারডাইটস ইউক্রাইটস ডায়োজেনাইটস চন্দ্রীয় উল্কা মঙ্গলীয় উল্কা (এসএনসি) বিবর্তিত অ্যাকনড্রাইট অ্যাংগ্রাইটস আওব্রাইটস বহিঃসংযোগ উল্কা অ্যাকনড্রাইটের ছবি বিষয়শ্রেণী:উল্কা বিষয়শ্রেণী:গ্রহ বিজ্ঞান
অ্যাকনড্রাইট
মোহাম্মদ ফরহাদ (৫ জুলাই ১৯৩৮ - ৯ অক্টোবর ১৯৮৭) ছিলেন একজন বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ। তিনি বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সাবেক সভাপতি, জাতীয় সংসদের সাবেক সদস্য এবং বাকশালের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন। জন্ম মোহাম্মদ ফরহাদের পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলার জমাদারপাড়া গ্রামে। বাবা ছিলেন স্কুল শিক্ষক। পড়াশোনা করেছেন দিনাজপুর শহরে। তার পিতা আহমেদ সাফাকাত আল বারি ছিলেন একজন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ। ইংরেজি, আরবি, ফার্সি ও উর্দু প্রভৃতি ভাষায় তার দখল ছিল। তার পূর্বপুরুষ পীরে কামেল কদম আলী শাহ্ জলপাইগুড়ি থেকে আগমন করেন শাহ্ বংশীয়। কমরেড ফরহাদরা মোট ৬ ভাই- বোন। তিনি পিতা মাতার মধ্যম পুত্র ও পঞ্চম সন্তান। শিক্ষা জীবন দিনাজপুর জিলা স্কুল সংলগ্ন একটি প্রাইমারী স্কুলে চল্লিশের দশকের শুরুতে মোহাম্মদ ফরহাদ এর শিক্ষা জীবন শুরু হয়। তিনি দিনাজপুর জেলা স্কুলের একজন মেধাবী ছাত্র হিসেবে সর্বদাই পরিচিতি ও প্রশংসিত ছিলেন। ১৯৫৩ সালে তিনি প্রবেশিখা পরীক্ষায় ভালভাবে উত্তীর্ণ হন এবং দিনাজপুরের তদানিন্তন একমাত্র কলেজ দিনাজপুর সুরেন্দ্রনাথ কলেজে লেখাপড়া শুরু করেন। ১৯৫৭ সালে তিনি কৃতিত্বের সাথে আই.এ পাস করেন। ১৯৫৯ সালে তিনি সুনামের সাথে বি.এ পাস করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে তিনি ১৯৬১ সালে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে এম.এ পাস করেন এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক কার্যকলাপে ব্যস্ত থাকা সত্ত্বেও বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ স্থান লাভ করেন। ১৯৬২ সালে আইন অধ্যয়নরত অবস্থায় আইয়ুব খান ফরহাদের বিরুদ্ধে হুলিয়া বের করে। ছাত্র আন্দোলন মোহাম্মদ ফরহাদ ১৯৫২ সালে মহান রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনে দিনাজপুর জেলা স্কুলের ছাত্র হিসেবে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। ভাষা আন্দোলনের পরপরই এদেশের ছাত্র সমাজের ঐতিহ্যবাহী সংগঠন 'পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়ন' ঢাকায় গঠিত হলে দিনাজপুর জেলায় ঐ সংগঠনের মূল উদ্যোক্তাদের মধ্যে তিনি ছিলেন অন্যতম। ১৯৫৩-৫৪ সালে বোদা-পঞ্চগড় প্রভৃতি এলাকায় তিনি প্রথম ছাত্র সংগঠন গড়ে তুলেন। ১৯৫৮ সালে তিনি পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য (কোষাধ্যক্ষ) নির্বাচিত হয়েছিলেন। কমরেড ফরহাদ ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি হওয়ার যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও পার্টির নির্দেশে কোষাধ্যক্ষের পদ গ্রহণ করেন। কেননা পার্টি মনে করেছিল একেবারে উপরের পদে গেলে পার্টির গোপন কাজ করতে অসুবিধা হবে। ১৯৬২ সালে আইয়ুব খানের সামরিক আইনের বিরুদ্ধে যে জঙ্গি ছাত্র আন্দোলন গড়ে উঠেছিল মোহাম্মদ ফরহাদ ছিলেন সেই আন্দোলনের মূল নেতা। তাকে আইয়ুববিরোধী আন্দোলনের 'মস্তিষ্ক' বলে অভিহিত করা হয়। অল্প সময়ের মধ্যে তিনি একজন প্রধান বিপ্লবী ছাত্রনেতা হিসেবে প্রগতিশীল ছাত্র সমাজের সমাদর লাভ করেন। এই সময় হতেই তদান্তিন পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের (তখন অসংগঠিত ও অবলুপ্ত অবস্থায় ছিল) কর্মী ও নেতৃবৃন্দ তার সংস্পর্শে আসেন। তার সাথে পরামর্শ করে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা গোপনে সংগঠিত হতে থাকে। শেখ ফজলুল হক মনি ছিলেন কমরেড ফরহাদের সামান্য জুনিয়র। ১৯৬২ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি আইয়ুবের বিরুদ্ধে ঢাকার রাজপথে প্রথম মিছিল বের করতে গিয়ে তাকে পুলিশের সাথে হাতাহাতি করতে হয়েছিল। ৬০ হতে ৮০ দশক পর্যন্ত মোহাম্মদ ফরহাদ ছিলেন বাংলাদেশের সমস্ত আন্দোলনের কেন্দ্র বিন্দু। '৬৯ এর ঐতিহাসিক ১১ দফা আন্দোলনের তিনি ছিলেন নেপথ্য কারিগর এবং প্রকৃত পরামর্শদাতা। রাজনৈতিক জীবন চল্লিশ দশকের বিশ্ব রাজনীতিতে ঘটে যাওয়া ভারতের স্বাধীনতা, চীনের বিপ্লব এবং ১৯৪৮ সালের দিকে দিনাজপুরের তেভাগা আন্দোলন তার রাজনৈতিক মতাদর্শ তৈরীতে প্রভাব রাখে। এই সময়ে মোহাম্মদ ফরহাদ রাজনীতিতে প্রভাবিত হয়ে পড়েন এবং ঐ সময় হতেই মোহাম্মদ ফরহাদ সমাজতন্ত্রের প্রতি আকর্ষিত হয়ে দিনাজপুর কমিউনিস্ট পার্টির সাথে সম্পৃক্ত হন। ১৯৫৫ সালে কমরেড মণি সিংহের সাথে তার প্রথম সাক্ষাত ঘটে। ঐ বছরই তিনি কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য পদ লাভ করেন। দিনাজপুর জেলা পার্টি ১৭ বছর বয়সে বিশেষ বিবেচনায় তাকে পার্টির সদস্য পদ দেয়। ১৯৫৮ সালে তিনি ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে চলে আসেন। ১৯৬২ সালের শিক্ষা আন্দোলনের মূল নেতা ছিলেন মোহাম্মদ ফরহাদ। অতি কিশোর বয়সে ১৯৫১ সালে মোহাম্মদ ফরহাদ দিনাজপুরের কমিউনিস্ট ও কৃষক নেতৃবর্গের সংস্পর্শে আসেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন হাজী মোহাম্মদ দানেশ, মির্জা নুরুল হুদা কাদের বক্স ( ছোটি), অনিল রায়, দীপেন রায়, আসলেউদ্দিন, গুরুদাস তালুকদার, কম্পরাম সিং, ইন্দ্রমোহন, মির্জা আব্দুস সামাদ প্রমুখ। ১৯৬৬ সালে তিনি কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সংগঠক নির্বাচিত হন। ১৯৬৭ সালে তিনি কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৬৮ সালের অক্টোবর মাসে পার্টির প্রথম কংগ্রেসে তিনি কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য নির্বাচিত হন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে গঠিত ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের বিশেষ গেরিলা বাহিনীর অন্যতম প্রধান সংগঠক ও নেতা ছিলেন তিনি। ৩০ জানুয়ারি মোহাম্মদ ফরহাদ ঢাকা স্টেডিয়ামে এক কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তার নেতৃত্বে পরিচালিত বাহিনীর অস্ত্র বঙ্গবন্ধুর নিকট সমর্পণ করেন। ১৯৭৩ সালের ডিসেম্বর মাসে ৩৫ বছর বয়সে পার্টির দ্বিতীয় কংগ্রেসে তিনি কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৭৫ সালে জুন মাসে তদান্তিন রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় পার্টি বাকশাল গঠন করলে তিনি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মনোনীত হন এবং তাকে ঐ সংগঠনের দলীয় রাজনৈতিক প্রশিক্ষণের দায়িত্ব দেওয়া হয়। তার রাজনৈতিক ছদ্ম নাম ছিল 'কবির'। তাকে বলা হত 'বাংলার লেনিন'। তার শাণিত ও যুক্তিপূর্ণ বক্তব্য সবার মনোযোগ আকর্ষণ করতে পেরেছিল। তিনি ছিলেন রাজনৈতিক আন্দোলন গড়ে তোলার নিপুণ কারিগর। 'ঐক্য ও সংগ্রাম' ছিল তার একটি বড় কৌশল। তার ছিল সাংগঠনিক দক্ষতা ও সময়োপযোগী নির্ভুল ও দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা। রাজনৈতিক কর্ম-কৌশল নির্ধারণে তিনি বিচক্ষণতার পরিচয় দিতে পেরে ছিলেন। সিপিবি অফিসে মোহাম্মদ ফরহাদের রুমটি ছিল স্বৈরাচার, সাম্প্রদায়িকতা ও সাম্রাজ্যবাদবিরোধী আন্দোলন এবং গণতান্ত্রিক শক্তির তীর্থ স্থানের মত। '৭০ এর নির্বাচনের পর তিনি এই বাণী দিয়েছিলেন যে, 'স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার সময় আসন্ন। '৮৬ নির্বাচনের আগে স্বৈরাচারকে পরাস্ত করার কৌশল হিসেবে তিনি দিয়েছিলেন দুই নেত্রীর ১৫০-১৫০ আসনে নির্বাচন করার ফর্মূলা। ভীত হয়ে এরশাদ অধ্যাদেশ জারি করেছিলেন যে কোন প্রার্থী ৫টির বেশি আসনে প্রতিদ্বন্দিতা করতে পারবেন না। অনেকে তাকে 'এরশাদের যম' বলে অভিহিত করেছিল। ফরহাদ আশাবাদ ব্যক্ত করেছিলেন '২০০০ সালের মধ্যে বিপ্লব সংগঠিত করার'। ১৯৮৬ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি পঞ্চগড়-২ আসন থেকে সাংসদ নির্বাচিত হন। হুলিয়া এবং নির্যাতন ১৯৫৪ সালের ১০ জুন দিনাজপুর শহরে রাজনৈতিক কারণে তিনি প্রথমবারের মত গ্রেফতার হন এবং বিনা বিচারে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে তাকে আটক রাখা হয়। এই সময় তার বয়স ১৫/১৬ বছর ছিল। ১৯৫৫ সালের ১০ জানুয়ারি তিনি মুক্তি লাভ করেন। ঐ বছরই ২৫ জানুয়ারি তাকে পুনরায় গ্রেফতার করা হলে পুলিশের হাত হতে পালিয়ে তিনি আত্মগোপন অবস্থায় থাকেন এবং দিনাজপুর সুরেন্দ্রনাথ কলেচে ছাত্র আন্দোলন গড়ে তুলেন। ১৯৫৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তার উপর হতে হুলিয়া ওঠে। ১৯৬২ সালে আইয়ুব খান পুনরায় তার উপর হুলিয়া বাহির করেন। তাকে গ্রেফতার করতে পারলে অনেক টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে বলে সরকার ঘোষণা করে। ছাত্র আন্দোলন ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনের চাপে তার উপর হতে মাত্র তিন মাসের জন্য হুলিয়া প্রত্যাহার করা হয়। প্রকৃতপক্ষে ১৯৬২ সাল হতে স্বাধীনতা পর্যন্ত জনাব ফরহাদের হুলিয়া থাকে। ১৯৭৭ সালে জিয়াউর রহমান সরকার তাকে গ্রেফতার করে এবং বিনা বিচারে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আটক রাখে। তার আটকাদেশের জন্য সরকারের বিরুদ্ধে হাই কোর্টের মাননীয় বিচারপতিগণ রায় দেন যে, 'মোহাম্মদ ফরহাদকে বিনা বিচারে আটক রাখা অন্যায় এবং সরকার বেআইনিভাবে তাকে আটক রেখেছে। সরকারপক্ষ মামলায় হেরে যায়। ১৯৮০ সালে তাকে আবার রাজদ্রোহের মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করা হয়। 'বিপ্লব' ও 'সরকারকে শক্তি বলে উৎখাতের' মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়। ১৯৮১ সালে তিনি জামিনে মুক্তি পান। ১৯৮৩ সালে স্বৈরাচারী এরশাদের সামরিক সরকার আবার তাকে গ্রেফতার করে এবং ক্যান্টনমেন্ট জেলে অন্ধকার কক্ষে ১৪ দিন আটক রাখে। ব্যক্তিগত জীবন মোহাম্মদ ফরহাদ ব্যক্তিগত জীবনে 'রিনা' নামের এক মহিলার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। রিনা তৎকালীন সচিবালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা হিসেবে চাকুরিরত ছিলেন। মৃত্যু মোহাম্মদ ফরহাদ ১৯৮৭ সালের ৯ই অক্টোবর রাশিয়ার মস্কো শহরে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ বিষয়শ্রেণী:১৯৩৮-এ জন্ম বিষয়শ্রেণী:১৯৮৭-এ মৃত্যু বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির রাজনীতিবিদ বিষয়শ্রেণী:দিনাজপুর জিলা স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষার্থী বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক বিষয়শ্রেণী:তৃতীয় জাতীয় সংসদ সদস্য
মোহাম্মদ ফরহাদ
সহজ ভাষায় ক্যালকুলাসের মৌলিক উপপাদ্যটি হলো, ডিফারেন্সিয়েশন এবং ইন্টিগ্রেশন প্রক্রিয়া দুইটি একে অপরের বিপরীত। এটি এমনই এক উপপাদ্য যা কোন ফাংশনের অন্তরীকরণের ধারণা ও সমাকলনের ধারণার মধ্যে যোগসূত্র স্থাপন করে। উপপাদ্যটির প্রথম অংশকে কখনো কখনো ক্যালকুলাসের প্রথম মৌলিক উপপাদ্য বলা হয়। ইতিহাস জ্যামিতি অর্থ উপপাদ্য কোন ফাংশন এর ডিফারেন্সিয়েশন যদি আরেকটি ফাংশন হয়, তবে, আবার, কোন ফাংশন এর জন্য উদাহরণ ধরা যাক, নিচের রাশিটির গণনা করতে হবে: এখানে, এবং আমরা কে অ্যান্টি-ডেরিভেটিভ বা প্রতি-অন্তরজ হিসেবে ব্যবহার করতে পারি। সুতরাং: অথবা, আরও সাধারণভাবে, ধরা যাক, কে গণনা করতে হবে। এখানে, and কে প্রতি-অন্তরজ হিসেবে ব্যবহার করা যায়। সুতরাং: অথবা, সমতুল্যভাবে, তত্ত্বীয় উদাহরণ হিসেবে, আমরা উপপাদ্যটি প্রয়োগ করে প্রমাণ করতে পারি, যেখানে, ফলাফল নির্ভর করবে এর উপর। বহুচলকবিশিষ্ট ফাংশনের জন্য বহুচলকের জন্যও উপপাদ্যটি প্রযোজ্য, তবে এক্ষেত্রে উপপাদ্যটির অনেকগুলো রূপ রয়েছে। গাউসের সূত্র এক্ষেত্রে ডিফারেন্সিয়েশন অপারেটরটি হলো , আর প্রযোজ্য ইন্টিগ্রেশন হলো আয়তন ইন্টিগ্রেশন। স্টোক্‌সের সূত্র এক্ষেত্রে ডিফারেন্সিয়েশন অপারেটরটি হলো , আর প্রযোজ্য ইন্টিগ্রেশন হলো ক্ষেত্র ইন্টিগ্রেশন। ডিফারেন্সিয়াল ফর্মের সূত্র এক্ষেত্রে ডিফারেন্সিয়েশন অপারেটরটি এক্সটিরিওর ডেরিভেটিভ গাউসের সূত্রটি আসলে এই সূত্রটিই, দ্বিতীয় মাত্রার ফর্মের ক্ষেত্রে, আর স্টোক্‌সের সূত্রটি প্রথম মাত্রার, তবে ভেক্টর ক্যালকুলাসের ভাষায়। তথ্যসূত্র . . .
ক্যালকুলাসের মৌলিক উপপাদ্য
জর্জিয়া নির্দেশ করে:- জর্জিয়া; ককেসীয় অঞ্চলে অবস্থিত ইউরোপের রাষ্ট্র। জর্জিয়া (অঙ্গরাজ্য); মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি অঙ্গরাজ্য।
জর্জিয়া (দ্ব্যর্থতা নিরসন)
মাহিরা ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বর্ধমান জেলার একটি শহর। জনসংখ্যার উপাত্ত ভারতের ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুসারে মাহিরা শহরের জনসংখ্যা হল ৪৪৯২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫৬% এবং নারী ৪৪%। এখানে সাক্ষরতার হার ৬১%। পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৭০% এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৪৯%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%, তার চাইতে মাহিরা এর সাক্ষরতার হার বেশি। এই শহরের জনসংখ্যার ১২% হল ৬ বছর বা তার কম বয়সী। তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:পশ্চিমবঙ্গের শহর
মাহিরা
মেকলীগঞ্জ ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কোচবিহার জেলার একটি শহর ও পৌরসভা এলাকা। জনসংখ্যার উপাত্ত ভারতের ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুসারে মেকলীগঞ্জ শহরের জনসংখ্যা হল ১০,৮৩৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫২% এবং নারী ৪৮%। এখানে সাক্ষরতার হার ৬১%। পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৬৮% এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৫৩%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%, তার চাইতে মেকলীগঞ্জ এর সাক্ষরতার হার বেশি। এই শহরের জনসংখ্যার ১৪% হল ৬ বছর বা তার কম বয়সী। তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:পশ্চিমবঙ্গের শহর বিষয়শ্রেণী:কোচবিহার জেলার শহর
মেখলিগঞ্জ
নবগ্রাম কলোনী ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের হুগলী জেলার একটি শহর। জনসংখ্যার উপাত্ত ভারতের ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুসারে নবগ্রাম কলোনী শহরের জনসংখ্যা হল ৩১,৯২৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫২% এবং নারী ৪৮%। এখানে সাক্ষরতার হার ৮৫%। পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৮৮% এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৮১%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%, তার চাইতে নবগ্রাম কলোনী এর সাক্ষরতার হার বেশি। এই শহরের জনসংখ্যার ৯% হল ৬ বছর বা তার কম বয়সী। তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:পশ্চিমবঙ্গের শহর বিষয়শ্রেণী:হুগলী জেলার শহর
নবগ্রাম কলোনী
পায়রাগাছা ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের হগলী জেলার শ্রীরামপুর মহকুমা সিডি ব্লকের একটি গ্ণ্না শহর। ভূগোল জনসংখ্যার উপাত্ত ভারতের ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুসারে পায়রাগাছা শহরের জনসংখ্যা হল ৪৩৫০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫০% এবং নারী ৫০%। এখানে সাক্ষরতার হার ৮০%। পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৮৬% এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৭৫%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%, তার চাইতে পায়রাগাছা এর সাক্ষরতার হার বেশি। এই শহরের জনসংখ্যার ৯% হল ৬ বছর বা তার কম বয়সী। তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:পশ্চিমবঙ্গের শহর
পায়রাগাছা
পশ্চিম জিৎপুর ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের জলপাইগুড়ি জেলার একটি শহর। জনসংখ্যার উপাত্ত ভারতের ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুসারে পশ্চিম জিৎপুর শহরের জনসংখ্যা হল ১৩,৩৮৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫১% এবং নারী ৪৯%। এখানে সাক্ষরতার হার ৭০%। পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৭৬% এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৬৪%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%, তার চাইতে পশ্চিম জিৎপুর এর সাক্ষরতার হার বেশি। এই শহরের জনসংখ্যার ১১% হল ৬ বছর বা তার কম বয়সী। তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:পশ্চিমবঙ্গের শহর বিষয়শ্রেণী:আলিপুরদুয়ার জেলার শহর
পশ্চিম জিৎপুর
রঘুনাথপুর (ডানকুনি থানা) ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের হুগলী জেলার একটি শহর। জনসংখ্যার উপাত্ত ভারতের ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুসারে রঘুনাথপুর (ডানকুনি থানা) শহরের জনসংখ্যা হল ৭৯৯৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫১% এবং নারী ৪৯%। এই শহরের জনসংখ্যার ১০% হল ৬ বছর বা তার কম বয়সী। এখানে সাক্ষরতার হার ৭৩%। পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৮০% এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৬৬%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%, তার চাইতে রঘুনাথপুর (ডানকুনি থানা) এর সাক্ষরতার হার বেশি। তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:পশ্চিমবঙ্গের শহর বিষয়শ্রেণী:পশ্চিমবঙ্গ বিষয়শ্রেণী:হুগলী জেলার শহর
রঘুনাথপুর (ডানকুনি থানা)
রাণাঘাট, ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের নদিয়া জেলার একটি মহকুমা শহর ও পৌরসভা এলাকা। এটি শিয়ালদহ - লালগোলা সেকশনের একটি গুরুত্বপূর্ণ রেলওয়ে জংশন স্টেশন। রাণাঘাট স্টেশনে মোট ৬ টি প্ল্যাটফর্ম আছে। এই গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনে ৪ টি পায়ে হাঁটা ওভারব্রিজ এবং একটি সাবওয়ে আছে। নামকরণ বর্তমানে রাণাঘাট নামটি সবাই জানলেও এই নামকরণের পশ্চাতে একাধিক মতামত পাওয়া যায়। কিছু কিছু ইতিহাসবেত্তাদের মতানুসারে, রাণাঘাটের পূর্বনাম ছিল ব্রহ্মডাঙা। চুর্নী নদীর তীরে অবস্থিত এই প্রাচীন জনপদে রনা বা রানা নামে এক ডাকাতের মূল ঘাঁটি ছিল। তার ভয়ে আশেপাশের গ্রামের বাসিন্দারা কাঁপত। চূর্ণী নদীতে যাত্রী ও পণ্য নিয়ে তখন বড়ো বড়ো নৌকা চলত। তবে রানার ভয়ে সবাই দলবদ্ধ ভাবে যেত। এই ভয়ের কারণেই বাসিন্দারা ব্রহ্মডাঙাকে আর ব্রহ্মডাঙা বলত না। বলত রানার ডাকাতের ঘাঁটি বা রানার ঘাট। এই ভাবেই ব্রহ্মডাঙা হয়ে গেল রাণাঘাট। রাণাঘাটের নামকরণের উৎপত্তি হিসাবে কিছু ঐতিহাসিক ভিন্ন মত প্রকাশ করেছেন। তাদের মতে, কোনো রানি বা রানার (রাজপুতের যোদ্ধা) নাম এবং ঘাট (নদীর পাড়) একত্রিত হয়ে রাণাঘাট হয়েছে। ইতিহাস রাণাঘাট চুর্নী নদীর তীরে অবস্থিত একটি প্রাচীন জনপদ। রাণাঘাটের রেল জংশনটি দেশভাগের পূর্বে অতি গুরুত্ববাহী ছিল। এই শহরে পৌরসভা তৈরি হয় ১৮৬৪ সালে। মহকুমা শাসক হিসেবে আসেন বিখ্যাত কবি নবীনচন্দ্র সেন। শহরের প্রথিতযশা মানুষদের মধ্যে রয়েছেন রবীন্দ্র জীবনীকার প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ কালীময় ঘটক, নদিয়া কাহিনীর রচয়িতা কুমুদনাথ মল্লিক, কলকাতার প্রাক্তন মেয়র সন্তোষকুমার বোস, অলিম্পিয়ান ফুটবলার নিখিল নন্দী, অনিল নন্দী, অজিত নন্দী প্রমুখ। শিল্প-সংস্কৃতির চর্চায় রাণাঘাটের জমিদার পালচৌধুরীদের বড় অবদান আছে। খেলাধুলা, নাটক, সাহিত্য পত্রিকা, বিজ্ঞান আন্দোলন এবং সংগীত জগতের নিজস্ব ঘরানাতে রাণাঘাটের মানুষ বাংলার সংস্কৃতি জগতে অবদান রেখেছেন। ভৌগোলিক উপাত্ত শহরটির অবস্থানের অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমা হল । সমূদ্র সমতল হতে এর গড় উচ্চতা হল ৭ মিটার (২২ ফুট)। জনসংখ্যার উপাত্ত ভারতের ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুসারে রাণাঘাট শহরের জনসংখ্যা হল ৬৮,৭৫৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫১% এবং নারী ৪৯%। এখানে সাক্ষরতার হার ৮৪%। পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৮৭% এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৮০%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%, তার চাইতে রাণাঘাটের সাক্ষরতার হার বেশি। এই শহরের জনসংখ্যার ৮% হল ৬ বছর বা তার কম বয়সী। সিটি জংশন শাখার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রাণাঘাট কলেজ এখানের প্রধান শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। পরিবহণ রাণাঘাট রেলওয়ে স্টেশন শিয়ালদহ- কৃষ্ণনগর সিটি জংশন শাখার একটি গুরুত্বপূর্ণ রেলওয়ে স্টেশন ও রেল প্রান্তিক। ১২ নম্বর জাতীয় সড়ক (পূর্বতন ৩৪ নং) শহরের পাশ দিয়ে গিয়েছে । তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:পশ্চিমবঙ্গের শহর
রাণাঘাট
শান্তিপুর ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের নদিয়া জেলার একটি শহর ও পৌরসভা এলাকা। শান্তিপুর মূলত তাঁতশিল্প-তন্তুবায়, মেয়েদের রূপচর্চা-কেশবিন্যাস এবং বৈষ্ণবাচার্য অদ্বৈত মহাপ্রভু তথা সংস্কৃত বিদ্বদসমাজের জন্য বিখ্যাত ছিল।বর্তমানেও. শিক্্ষা সংস্্ককৃতির পীঠস্থথান. ইতিহাস ও সংস্কৃতি নদীয়ার শান্তিপুর একটি সুপ্রাচীন ও ঐতিহাসিক গঙ্গা (সুরধনী) তীরবর্তী জনপদ। প্রায় হাজার বছরের প্রাচীন এই জনপদ বাংলার শিক্ষা, সংস্কৃতির পীঠস্থান ও বিখ্যাত তাঁত শিল্পের সূতিকাগার। মহাপুরুষ চৈতন্য মহাপ্রভুর শিক্ষাগুরু অদ্বৈত আচার্যর সাধনপীঠ শান্তিপুর স্টেশনের নিকটবর্তী বাবলা গ্রামে বলে কেউ কেউ মনে করেন ।যদিও অদ্বৈত মহাপ্রভুর আদি বাড়ি শান্তিপুর শহরের দক্ষিণে গঙ্গা গর্ভে বিলীন বলে গবেষকদের অভিমত।তার প্রকৃত পৈতৃক বাসভূমি ছিল বর্তমান বাংলাদেশের সিলেট জেলা তে। চৈতন্যদেব, নিত্যানন্দ মহাপ্রভু ও অদ্বৈতাচার্যের মিলন ঘটেছিল এই শান্তিপুরে। সন্ন্যাস গ্রহণের পর এই শান্তিপুরেই চৈতন্যের সঙ্গে দেখা হয়েছিল শচীমায়ের। অদ্বৈতাচার্যের বংশেই জন্ম আরেক বৈষ্ণবসাধক বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর। তারও স্মৃতিমন্দির রয়েছে শান্তিপুরে। শান্তিপুরের কাছে হরিপুর গ্রামে কবি যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্তের পৈত্রিক বাসভূমি এবং শান্তিপুর মিউনিসিপাল স্কুলের পাশে কবি করুণানিধান বন্দ্যোপাধ্যায় ও ফুলিয়ায় আদি কবি রামায়ণ রচয়িতা কৃত্তিবাস ওঝার জন্মস্থান। অষ্টাদশ-ঊনবিংশ শতাব্দীর কবিগানের একজন বাধনদার সাতু রায় এর বাড়িও শান্তিপুর। এছাড়া শান্তিপুরের রাসযাত্রা জগৎ বিখ্যাত এবং দোলযাত্রা, সূত্রাগড় জগদ্ধাত্রী পূজা, হরিপুরের রামনবমী ও অদ্বৈত প্রভুর জন্মতিথি মাঘি সপ্তমী বা মাকড়ি সপ্তমী, বৈশাখ মাসের শেষে রবিবার মুসলিম সম্প্রদায়ের গাজী মিয়ার বিয়ে এখানকার উল্লেখযোগ্য উৎসব ও পরব। বড়গোস্বামী বাড়ি সহ বিভিন্ন গোস্বামী বাড়ি ও গোকুলচাঁদের আটচালা মন্দির এবং অদ্বৈত পৌত্র মথুরেশ গোস্বামী প্রতিষ্ঠিত বড় গোস্বামী বাড়িতে হাজার বছরের প্রাচীন কষ্টি পাথরের রাধারমণ বিগ্রহ (শান্তিপুরের বিখ্যাত রাস উৎসব এই রাধারমন বিগ্রহকে কেন্দ্র করেই সূচনা হয়) এবং অদ্বৈত মহাপ্রভু আনীত নেপালের গণ্ডকী নদী থেকে প্রাপ্ত নারায়ণ শিলা এবং শান্তিপুরের একমাত্র চৈতন্যদেবের ষড়ভূজ মূর্তি বর্তমান। তন্ত্রসিদ্ধ কৃষ্ণানন্দ আগমবাগীশের বংশধর শান্তিপুরে দক্ষিণাকালীমূর্তি প্রতিষ্ঠা করেন; যা একটি দালান-মন্দিরে দেবী আগমেশ্বরী নামে অধিষ্ঠিত। পটেশ্বরীতলায় আছেন দেবী পটেশ্বরী (চার-পাঁচশো বছর আগে তান্ত্রিক সাধকরা রাসপূর্ণিমাতে পঞ্চমুণ্ডির আসন স্থাপন করে তার উপর বৃহৎ বৃহৎ পটে আঁকা দক্ষিণাকালীমূর্তি 'পটেশ্বরী'র পূজা করতেন; পরে বারোয়ারি পূজা প্রবর্তিত হলে রাসোৎসবে পটেশ্বরী কালীমূর্তির শোভাযাত্রা শুরু হয়)। এছাড়া এখানে মহিষখাগী, শ্যামাচাঁদুনী, ঘাটচাঁদুনী, বিল্বেশ্বরী, সিদ্ধেশ্বরী প্রভৃতি লোকায়ত কালীমূর্তি অধিষ্ঠিতা আছেন। মতিগঞ্জ-বেজপাড়ায় অষ্টাদশ শতকের গোড়ার দিকে প্রতিষ্ঠিত নিপুণ হাতের পোড়ামাটির কারুকাজযুক্ত জলেশ্বর শিবমন্দির বিদ্যমান। বউবাজার পাড়ায় আছে দক্ষিণাকালীর পঞ্চরত্ন মন্দির। শ্যামচাঁদ পাড়ায় ১৭২৬ খ্রিষ্টাব্দে তন্তুবায় সম্প্রদায়ের রামগোপাল খাঁ চৌধুরী প্রতিষ্ঠিত কোষ্ঠীপাথরের কৃষ্ণমূর্তি শ্যামচাঁদের আটচালা মন্দির আছে। মন্দিরটি তৈরী করতে সেসময় ২ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছিল। এছাড়া, শান্তিপুরে ১৭০৩-০৪ খ্রিষ্টাব্দে (১১১৫ হিজরী) তখনকার স্থানীয় ফৌজদার গাজী মহম্মদ ইয়ার খাঁ নির্মিত 'তোপখানা মসজিদ' বিখ্যাত। এর গম্বুজ ও মিনার এখনো অক্ষত আছে। দানবীর বলে খ্যাত শরিয়ৎসাহেব নতুনহাট এলাকায় ১৭৯৬ খ্রিষ্টাব্দে একটি মসজিদ ও একটি অতিথিশালা নির্মাণ করেন। ডাকঘর-পাড়ায় দুশো বছরেরও প্রাচীন একটি মসজিদ এবং তার পাশে ফকির তোপসেনিয়ার সমাধি আছে। ভৌগোলিক উপাত্ত শহরটির অবস্থানের অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমাংশ হল । সমুদ্র সমতল হতে এর গড় উচ্চতা হল ১৫ মিটার (৪৯ ফুট)। জনসংখ্যার উপাত্ত ভারতের ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুসারে শান্তিপুর শহরের জনসংখ্যা হল ১৩৮,১৯৫ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫১% এবং নারী ৪৯%। এখানে সাক্ষরতার হার ৬৪%। পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৬৯% এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৫৮%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%, তার চাইতে শান্তিপুর এর সাক্ষরতার হার বেশি। এই শহরের জনসংখ্যার ১২% হল ৬ বছর বা তার কম বয়সী। ধর্মবিশ্বাস শান্তিপুরের প্রায় ৭৯.১৫ % মানুষ হিন্দুধর্মে বিশ্বাসী। এখানে ইসলামে ২০.২৫ %, খ্রিস্ট ধর্মে ০.০৪ %, শিখধর্মে ০.০২ %, বৌদ্ধ ধর্মে ০.০১ %, জৈন ধর্মে ০.০১ % মানুষ বিশ্বাসী। এছাড়া অন্যান্য ধর্মে ০.৪২ % মানুষ বিশ্বাসী ও বিবৃতি নেই এমন মানুষ ০.১১ %। যোগাযোগ শান্তিপুর শহর বাস ও রেল যোগাযোগের মাধ্যমে রাজ্য রাজধানী কলকাতা ও জেলা সদর কৃষ্ণনগরের সাথে যুক্ত। কলকাতা হতে শান্তিপুরের ওপর দিয়ে ৩৪ নং জাতীয় সড়ক অতিক্রম করেছে। রেলপথে শিয়ালদহ রেলওয়ে স্টেশন হতে সরাসরি শান্তিপুর বিদ্যুৎচালিত ট্রেনের মাধ্যমে সংযুক্ত। অতীতে শান্তিপুর - কৃষ্ণনগর - নবদ্বীপ ঘাট ন্যারো গেজ রেলপথ ছিল। অধুনা তা ব্রড গেজে রূপান্তরিত হয়েছে। ভাগীরথী নদীর অপর পাড়ে বর্ধমান জেলার কালনা ও হুগলী জেলাস্থিত গুপ্তিপাড়ার সাথে শান্তিপুর নৌকা পথে যুক্ত। তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:পশ্চিমবঙ্গের শহর বিষয়শ্রেণী:নদিয়া জেলার শহর
শান্তিপুর
সিরসা (পশ্চিমবঙ্গ) ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বর্ধমান জেলার একটি শহর। জনসংখ্যার উপাত্ত ভারতের ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুসারে সিরসা (পশ্চিমবঙ্গ) শহরের জনসংখ্যা হল ৫২১৫ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫৬% এবং নারী ৪৪%। এখানে সাক্ষরতার হার ৬৬%। পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৭৫% এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৫৫%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%, তার চাইতে সিরসা (পশ্চিমবঙ্গ) এর সাক্ষরতার হার বেশি। এই শহরের জনসংখ্যার ১২% হল ৬ বছর বা তার কম বয়সী। তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:পশ্চিমবঙ্গের শহর
সিরসা (পশ্চিমবঙ্গ)
তালবাঁধা ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার ব্যারাকপুর মহকুমার অন্তর্গত ঘোলা থানার একটি সেন্সাস টাউন। জনসংখ্যার উপাত্ত ভারতের ২০০১ সালের আদম শুমারি অনুসারে তালবাঁধা শহরের জনসংখ্যা হল ১৫,২৩৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫১%, এবং নারী ৪৯%। এখানে সাক্ষরতার হার ৬৫%, । পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৭৩%, এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৫৭%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%, তার চাইতে তালবাঁধা এর সাক্ষরতার হার বেশি। এই শহরের জনসংখ্যার ১২% হল ৬ বছর বা তার কম বয়সী। তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার শহর
তালবাঁধা
পুনর্নির্দেশ ২৫ মার্চ
২৫শে মার্চ
ড. ফ্রাঙ্ক ড্রেক (জন্ম ২৮ মে ১৯৩০) একজন মার্কিন জ্যোতির্বিজ্ঞানী ও জ্যোতিঃপদার্থবিজ্ঞানী। তিনি একটি বিখ্যাত সূত্র প্রতিপাদন করেন যা ড্রেকের সূত্র নামে খ্যাত। এছাড়াও সেটি (SETI; বহির্জাগতিক বুদ্ধিমত্তার অনুসন্ধান) প্রকল্পের পত্তনের জন্যও তিনি সুবিদিত। শিক্ষাজীবন ড্রেক যখন শিকাগোতে পড়াশোনা করতেন তখনই তিনি ইলেক্ট্রনিক্স এবং রসায়নের প্রতি বিশেষ আগ্রহী হয়ে পড়েন। তিনি পরবর্তীতে বলেছেন যে ৮ বছর বয়সেই তিনি প্রথম মহাবিশ্বের অন্য কোন স্থানে প্রাণের অস্তিত্বের ব্যাপারে আশাবাদ পোষণ করেছিলেন। কিন্তু সমসাময়িক ধর্মীয় মতবাদের প্রাধান্যের কারণে তিনি কখনই তা তার পরিবার বা অন্য কারো সাথে আলোচনা করতেন না। রট্‌সি (ROTC) ইলেকট্রনিক্স বৃত্তি নিয়ে তিনি কর্নেল ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হন। সেখানেই তার জ্যোতির্বিজ্ঞান শিক্ষার সূত্রপাত ঘটে। ১৯৫১ সালে তিনি অটো স্ট্রুভে-র একটি বক্তৃতা শুনে বহির্জাগতিক প্রাণের অস্তিত্বের ব্যাপারে আরও আশাবাদী হয়ে উঠেন। কলেজ পাশের পর তিনি স্বল্প সময়ের জন্য ইউএসএস আলবেনি নামক কোম্পানিতে ইলেক্ট্রনিক্স কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত থাকেন। এরপর হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটিতে বেতার জ্যোতির্বিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতকোত্তর পর্যায়ের পড়াশোনা শুরু করেন। কর্মজীবন ড্রেক পশ্চিম ভার্জিনিয়ার গ্রীন ব্যাঙ্কে অবস্থিত ন্যাশনাল রেডিও অ্যাস্ট্রোনমি অবজারভেটরিতে (এনআরএও) বেতার জ্যোতির্বিজ্ঞানবিষয়ক গবেষণার মাধ্যমে তার কর্মজীবন শুরু করেন। কিন্তু সবসময়ই আর চান্তা ছিল বহির্জাগতিক প্রাণ নিয়ে। এরপর তিনি নাসার জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরিতে যোগ দেন। এসময় তিনি কয়েকটি যুগান্তকারী পরিমাপের গোড়াপত্তন করেন যা Jovian আয়নমন্ডল এবং magnetosphere এর অস্তিত্ব প্রমাণ করে। ১৯৬০ সালে ড্রেক ওজমা প্রকল্প নামে বহার্জাগতিক বু্ধিমত্তার অনুসন্ধানের জন্য প্রথম বেতার প্রকল্প পরিচালনা করেন। এটি অবশ্যই সত্য যে সেদান হাজার তারার অসংখ্য সংকেতের মাঝেও বুদ্ধিমান প্রাণী কর্তৃক প্রেরিত কোনরকম সংকেতের প্রমাণ পাওয়া যায়নি তবে এর মাধ্যমেই বহির্জাগতিক বুদ্ধিমত্তার অনুসন্ধানের বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয়। এটি স্বীকার করতে বাধা নেই যে ভিনগ্রহে প্রাণের ব্যাপারে কোন সুনির্দিষ্ট নিদর্শন নেই কিন্তু ফ্রাঙ্ক ড্রেক বিশ্বাস করেন যে যে ভবিষ্যতে অবশ্যই বহির্জাগতিক সভ্যতা হতে প্রেরিত অর্থবহ সংকেতের সন্ধান পৃথিবীর মানুষ লাভ করবে; হতে পারে সে সংকেত অত্যন্ত ক্ষীণ। ১৯৬১ সালে ফ্রাঙ্ক ড্রেক জে. পিটার পিয়ারম্যানের (যিনি ন্যাশনাল একাডেমি অফ সায়েন্সেস-এর মহাকাশ বিজ্ঞান বোর্ডের একজন কর্মকর্তা ছিলেন) সহযোগিতায় এনআরএও-তে সেটি বিষয়ক প্রথম কর্মশালার আয়োজন করেন। মাত্র এক ডজনের মত বিজ্ঞানীদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত এই কর্মশালায়ই ড্রেক তার বিখ্যাত ড্রেকের সূত্রের প্রস্তাবনা পেশ করেন। ড্রেকের সূত্র মূলত পরস্পর সম্পর্কিত কিছু রাশির সাথে আমাদের পরিচয় করিয়ে দেয় যার মাধ্যমে আমরা বহির্জাগতিক সভ্যতার সংখ্যা (N) নিরুপণের একটি সম্ভাব্য উপায় খুঁজে পাই। একই সাথে এটির মাধ্যমে এধরনের সভ্যতার সংখ্যা নিরুপণে আমাদের সীমাবদ্ধতাগুলোরও পরিচয় পাওয়া যায় যার প্রধান কারণ হল অপর্যাপ্ত উপাত্ত। এই বিশ্লেষণের মাধ্যমে বহির্জাগতিক সভ্যতার সংখ্যা ধরা যায় ১ থেকে ১,০০০,০০০ এর মধ্যে। এই ব্যাপ্তির সাথে সম্পর্কিত দার্শনিক ভাষ্য বা প্রশ্নের কথা সবারই জানা: এই মহাবিশ্বে আমরা কি একটি বিশেষ এবং অনন্য মহাজাগতিক সৃষ্টি নাকি এই মহাবিশ্ব প্রাণে প্রাণে ভরপুর। এসব প্রশ্নেরই উত্তর খুঁজতে খুঁজতে এগিয়ে যাচ্ছে সেটি। ১৯৬০ এর দশকে ড্রেক আরেসিবো মানমন্দিরে বেতার জ্যোতির্বিজ্ঞান গবেষণার উপযোগী সকল যন্ত্রপাতি সন্নিবেশ করায় নেতৃত্ব দেন। পরে ১৯৭৪ এবং ১৯৯৬ সালে এর আরো বেশ কিছু উন্নয়নমূলক পরিবর্তন সাধিত হয়। একজন গবেষক হিসেবে ড্রেক তার প্রাথমিক সময়গুলোতে পালসার (স্পন্দক) নিয়ে গবেষণায় ব্যাস্ত ছিলেন। সেসময় তিনি কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনার পাশাপাশি ন্যাশনাল অ্যাস্ট্রেনমি অ্যান্ড আয়নোস্ফিয়ার সেন্টারের (এনএআইসি- আরেসিবোর পূর্বনাম) পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। ১৯৭২ সালে ড্রেক কার্ল সাগানের সাথে যৌথভাবে পায়োনিয়ার প্লাক-এর নকশা করেন যা ছিল মহাশূণ্যে প্রেরিত প্রথম গাঠনিক বার্তা। এটি এমনভাবে নকশা করা হয়েছিলো যেন বহির্জগতের কোন সভ্যতা তা বুঝতে পারে। পরবর্তীথে ড্রেক ভয়েজার গোল্ডেন রেকর্ড সৃষ্টিতেও উপদেষ্টা ও পথনির্দেশকের ভূমিকা পালন করেছিলেন। সাম্প্রতিক তৎপরতা ড্রেক ন্যাশনাল একাডেমি অফ সায়েন্সেস-এর একজন সদস্য এবং একসময় (১৯৮৯-৯২) তিনি এর ন্যাশনাল রিসার্চ কাউন্সিলের অন্তর্গত পদার্থ ও জ্যোতির্বিজ্ঞান বোর্ডের প্রধান ছিলেন। তিনি একসময় অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটি অফ দি প্যাসিফিক-এর সভাপতিও ছিলেন। ১৯৬৪ থেকে ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ছিলেন এবং একই সাথে আরেসিবো মানমন্দিরের পরিচালক ছিলেন। বর্তমানে তিনি সেটির পর্যায়ভুক্ত ফোনিক্স প্রকল্প নিয়ে কাজ করছেন। এছাড়াও সান্তা ক্রুজে অবস্থিত ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়ার জ্যোতির্বিজ্ঞান ও জ্যোতিঃপদার্থবিজ্ঞান বিষয়ে অধ্যাপনা করেন এবং সেখানে ১৯৮৪ থেকে ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত প্রাকৃতিক বিজ্ঞান বিভাগের ডীন ছিলেন। সম্মাননা যুক্তরাষ্ট্রের ওহিও অঙ্গরাজ্যের নরউডে নরউড উচ্চ বিদ্যালয়ে অবস্থিত ড্রেক প্ল্যানেটারিয়ামটি তার নামানুসারে স্থাপন করা হয়েছে। আরও দেখুন ড্রেকের সূত্র বেতার জ্যোতির্বিজ্ঞান সেটি ন্যাশনাল একাডেমি অফ সায়েন্সেস ভয়েজার গোল্ডেন রেকর্ড ফোনিক্স প্রকল্প আরেসিবো মানমন্দির বিষয়শ্রেণী:১৯৩০-এ জন্ম বিষয়শ্রেণী:মার্কিন জ্যোতির্বিজ্ঞানী বিষয়শ্রেণী:জীবিত ব্যক্তি
ফ্রাঙ্ক ড্রেক
পুনর্নির্দেশ তাওহীদ
তৌহিদ
পুনর্নির্দেশ ২৭ সেপ্টেম্বর
২৭শে সেপ্টেম্বর
পুনর্নির্দেশ রক্ত তঞ্চন
Coagulation
পুনর্নির্দেশ অড্রি হেপবার্ন
Audrey Hepburn
পুনর্নির্দেশ ম্যাকিন্টশ
Apple Macintosh
পুনর্নির্দেশ আড়গোড়ী
Argari
পুনর্নির্দেশ আহমদপুর, বীরভূম
Ahmadpur
পুনর্নির্দেশ ইন্দোনেশীয় ভাষা
Indonesian language
পুনর্নির্দেশ ওয়াট
Watt
আবদুল কাদির (জন্ম : ১৯০৬ - মৃত্যু : ডিসেম্বর ১৯, ১৯৮৪) বাঙালি কবি, সাহিত্য-সমালোচক ও ছান্দসিক হিসেবে খ্যাত। তার জন্ম বর্তমান ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার আড়াইসিধা গ্রামে, ১ জুন ১৯০৬ খ্রিষ্টাব্দে। অতি শৈশবে তিনি মাতৃহারা হন। ১৯২৩ খ্রিষ্টাব্দে ব্রাহ্মণবাড়িয়া অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে পাঁচটি বিষয়ে লেটারসহ ম্যাট্রিক পাস করেন। ১৯২৫ এ তিনি ঢাকা ইন্টারমিডিয়েট কলেজ থেকে আইএসসি পাস করেন। অতঃপর তিনি বি.এ. পর্যন্ত অধ্যয়ন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। সাংবাদিক জীবন ১৯২৬ খ্রিষ্টাব্দে কলকাতায় বিখ্যাত সওগাত পত্রিকায় সম্পাদনা বিভাগে চাকরি নেন। ১৯৩০ -এ কলকাতা করপোরেশনের একটি প্রাথমিক স্কুলে প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। ১৯৩৫ খ্রিষ্টাব্দে কমরেড মুজাফফর আহমদের কন্যা আফিয়া খাতুনকে বিয়ে করেন। বাংলা ১৩৩৭-এ জয়তী নামে একটি মাসিক পত্রিকা প্রকাশ এবং সম্পাদনা ছাড়াও একই বছর নবশক্তি পত্রিকার সম্পাদনার দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ১৯৩৮ -এ তিনি কলকাতার যুগান্তর পত্রিকায় যোগ দেন। ১৯৪২ খ্রিষ্টাব্দে কবি কাজী নজরুল ইসলামের দৈনিক নবযুগ পত্রিকার বার্তা সম্পাদক নিযুক্ত হন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষদিকে সরকারের প্রচার সংস্থার বাংলা অনুবাদক পদে যোগ দেন। ১৯৪৬-এ সাপ্তাহিক মোহাম্মদী ও অর্ধ-সাপ্তাহিক পয়গাম পত্রিকায় চাকরি করেন। ১৯৫২-এ পাকিস্তান কেন্দ্রীয় সরকারের মুখপত্র মাসিক বিখ্যাত মাহেনও পত্রিকায় কর্মরত থাকার পর ১৯৬৪-এ কেন্দ্রীয় বাংলা উন্নয়ন বোর্ডের প্রকাশনা কর্মকতা হিসাবে নিয়োগ লাভ করেন। ১৯৭০ খ্রিষ্টাব্দের ১ জুন তিনি সরকারি চাকুরি থেকে অবসর গ্রহণ করেন। সাহিত্য তার কাব্যপ্রয়াসে মোহিতলাল মজুমদারের ধ্রুপদী সংগঠন এবং নজরুলের উদাত্ত আবেগের চমৎকার সমন্বয় প্রত্যক্ষ হয়। মুসলিম সাহিত্য সমাজ (১৯২৬)-এর নেতৃত্বে ঢাকায় যে ‘বুদ্ধির মুক্তি’ আন্দোলন সূচিত হয়, কবি আবদুল কাদির তার নেতৃস্থানীয় উদ্যোক্তা। তিনি ছিলেন সাহিত্য সমাজের মুখপত্র বার্ষিক শিখা (১৯২৭) পত্রিকার প্রকাশক ও লেখক। প্রকাশিত কাব্য দিলরুবা (১৯৩৩) ও উত্তর বসন্ত (১৯৬৭)। তার অন্যতম বিখ্যাত গ্রন্থ ছন্দ সমীক্ষণ (১৯৭৯) যাতে তিনি বাংলা ছন্দ সম্পর্কে মৌলিক বক্তব্য রেখেছেন। আবদুল কাদিরের ছন্দ বিচারেও অধিকার সংশয়াতীত। সাহিত্য সম্পাদক হিসাবেও তিনি পরিশ্রম এবং একনিষ্ঠতার ছাপ রেখেছেন। তিনি সম্পাদনা করেছেন বিখ্যাত কাব্য সঙ্কলন কাব্য মালঞ্চ, মুসলিম সাহিত্যের সেরা গল্প, নজরুল রচনাবলি (প্রথম খণ্ড-পঞ্চম খণ্ড), রোকেয়া রচনাবলি, শিরাজী রচনাবলি, লুৎফর রহমান রচনাবলি, ইয়াকুব আলী চৌধুরী রচনাবলি, আবুল হুসেন রচনাবলি, কাব্যবীথি ইত্যাদি। সাহিত্যকীর্তির জন্য তিনি বাংলা একাডেমি পুরস্কার, একুশে পদক, মুক্তধারা পুরস্কার প্রভৃতি লাভ করেন। প্রকাশিত গ্রন্থ দিলরুবা (কাব্য) উত্তর বসন্ত (কাব্য) কাব্যমালঞ্চ (সংকলন) ছন্দ সমীক্ষণ - সাহিত্যালোচনা বাংলা কাব্যের ইতিহাস : মুসলিম সাধনার ধারা (১৯৪৪) -গবেষণা গ্রন্থ কবি নজরুল (১৯৭০) - জীবনী মওলানা মোহাম্মদ নঈমুদ্দীন (১৯৭৯) - জীবনী কাজী আবদুল ওদুদ (১৯৭৬)- জীবনী লোকায়ত সাহিত্য (১৯৮৫), ড. মুহম্মদ এনামুল হক বক্তৃতামালা (১৩৯০), তথ্যসূত্র ২ কালের ধ্বনি, আশিক রেজা ও ইমরান মাহফুজ সম্পাদিত সাহিত্য পত্রিকা , ঢাকা ২০১৭ বহিঃসংযোগ বিষয়শ্রেণী:১৯০৬-এ জন্ম বিষয়শ্রেণী:১৯৮৪-এ মৃত্যু বিষয়শ্রেণী:বাঙালি কবি বিষয়শ্রেণী:ভাষা ও সাহিত্যে একুশে পদক বিজয়ী বিষয়শ্রেণী:প্রবন্ধ ও গবেষণায় বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার বিজয়ী বিষয়শ্রেণী:ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কবি বিষয়শ্রেণী:আদমজী সাহিত্য পুরস্কার প্রাপক বিষয়শ্রেণী:২০শ শতাব্দীর বাংলাদেশী কবি বিষয়শ্রেণী:১৯৭৬-এ একুশে পদক বিজয়ী বিষয়শ্রেণী:সাহিত্যে স্বাধীনতা পুরস্কার বিজয়ী
আবদুল কাদির
পুনর্নির্দেশ খড়ার
Kharar
পুনর্নির্দেশ ২৩ জুলাই
২৩শে জুলাই
পুনর্নির্দেশ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ
Chittagong Medical College
পুনর্নির্দেশ জয়নুল আবেদিন
Zainul Abedin
পুনর্নির্দেশ ঘোষ পশ্চাত্তালব্য পার্শ্বিক নৈকট্যধ্বনি
Velar lateral approximant
পুনর্নির্দেশ ঘোষ দন্ত্য, দন্তমূলীয় এবং পশ্চাদ্দন্তমূলীয় পার্শ্বিক নৈকট্যধ্বনি
Alveolar lateral approximant
নাসিরুদ্দিন শাহ্ (জন্ম: ২০শে জুলাই, ১৯৫০) হলেন একজন ভারতীয় অভিনেতা। মূলধারার হিন্দি চলচ্চিত্র এবং আর্ট ফিল্ম, দু'ধরনের চলচ্চিত্রেই তিনি অত্যন্ত সফল একজন অভিনেতা। শাহ্‌ তার কর্মজীবনে একাধিক পুরস্কার অর্জন করেছেন। তিনি তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, তিনবার ফিল্মফেয়ার পুরস্কার এবং ভেনিস চলচ্চিত্র উৎসব থেকে একটি ভল্পি কাপ লাভ করেন। ভারতীয় চলচ্চিত্রে তার অবদানের জন্য ভারত সরকার তাকে ১৯৮৭ সালে পদ্মশ্রী ও ২০০৩ সালে পদ্মভূষণ পদকে ভূষিত করে। প্রারম্ভিক জীবন নাসিরুদ্দিন শাহ ১৯৫০ সালের ২০শে জুলাই ভারতের উত্তর প্রদেশ রাজ্যের বরাবাঁকিতে এক মুসলমান পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা আলে মোহাম্মাদ শাহ ও মাতা ফাররুখ সুলতান। তিনি ১৯শ শতাব্দীর সাইয়ীদ আফগান যোদ্ধা জান-ফিশান খান (সাইয়ীদ মুহাম্মদ শাহ) এর বংশধর। নাসিরুদ্দিনের বড় ভাই লেফটেন্যান্ট জেনারেল জামিরুদ-দিন শাহ (অব.) আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছিলেন। তার পুত্র মোহাম্মদ আলী শাহ একজন অভিনেতা। তিনি নৈনিতালের সেন্ট আন্সেলম্‌স আজমের ও সেন্ট জোসেফ্‌স কলেজে পড়াশুনা করেন। তিনি ১৯৭১ সালে আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কলা বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন এবং দিল্লির ন্যাশনাল স্কুল অব ড্রামায় অভিনয়ের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। পুরস্কার ও সম্মাননা ভারতীয় চলচ্চিত্রে তার অবদানের জন্য ভারত সরকার তাকে ১৯৮৭ সালে ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা পদ্মশ্রী ও ২০০৩ সালে ভারতের তৃতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা পদ্মভূষণ পদকে ভূষিত করে। এছাড়া তার গৃহীত চলচ্চিত্র বিষয়ক পুরস্কার ও মনোনয়ন তালিকা নিচে দেওয়া হল। চলচ্চিত্র তালিকা তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ Article about Shah's direction of plays An interview about state of Bollywood movies An article about Naseerudddin Shah's directorial debut in Cinema বিষয়শ্রেণী:১৯৫০-এ জন্ম বিষয়শ্রেণী:জীবিত ব্যক্তি বিষয়শ্রেণী:২০শ শতাব্দীর ভারতীয় অভিনেতা বিষয়শ্রেণী:২১শ শতাব্দীর ভারতীয় অভিনেতা বিষয়শ্রেণী:আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী বিষয়শ্রেণী:উত্তর প্রদেশের ব্যক্তিত্ব বিষয়শ্রেণী:ন্যাশনাল স্কুল অব ড্রামার প্রাক্তন শিক্ষার্থী বিষয়শ্রেণী:পাকিস্তানে ভারতীয় প্রবাসী বিষয়শ্রেণী:বরাবাঁকি জেলার ব্যক্তি বিষয়শ্রেণী:ভারতীয় চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউটের প্রাক্তন শিক্ষার্থী বিষয়শ্রেণী:ভারতীয় চলচ্চিত্র অভিনেতা বিষয়শ্রেণী:ভারতীয় মঞ্চ অভিনেতা বিষয়শ্রেণী:ভারতীয় মুসলিম বিষয়শ্রেণী:মুম্বইয়ের অভিনেতা বিষয়শ্রেণী:শাহ পরিবার বিষয়শ্রেণী:হিন্দি চলচ্চিত্র অভিনেতা বিষয়শ্রেণী:পদ্মভূষণ প্রাপক বিষয়শ্রেণী:শিল্পকলায় পদ্মশ্রী প্রাপক বিষয়শ্রেণী:সঙ্গীত নাটক আকাদেমি পুরস্কার প্রাপক বিষয়শ্রেণী:শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (ভারত) বিজয়ী বিষয়শ্রেণী:শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (ভারত) বিজয়ী বিষয়শ্রেণী:শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে ভোল্পি কাপ বিজয়ী বিষয়শ্রেণী:শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার বিজয়ী বিষয়শ্রেণী:শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা বিভাগে স্ক্রিন পুরস্কার বিজয়ী
নাসিরুদ্দিন শাহ্
পুনর্নির্দেশ ধর্মপুর ইউনিয়ন, ফটিকছড়ি
Dharmapur
পুনর্নির্দেশ নব বারাকপুর
New Barrackpur
রামমোহন রায়, অথবা রাজা রাম মোহন রায় লেখা হয় রাজা রামমোহন রায় (মে ২২, ১৭৭২ – সেপ্টেম্বর ২৭, ১৮৩৩) প্রথম ভারতীয় ধর্মীয়-সামাজিক পুনর্গঠন আন্দোলন ব্রাহ্মসমাজের প্রতিষ্ঠাতা এবং বাঙালি দার্শনিক। তৎকালীন রাজনীতি, জনপ্রশাসন, ধর্মীয় এবং শিক্ষাক্ষেত্রে তিনি উল্লেখযোগ্য প্রভাব রাখতে পেরেছিলেন। তিনি সবচেয়ে বেশি বিখ্যাত হয়েছেন, সতীদাহ প্রথা বিলুপ্ত করার প্রচেষ্টার জন্য। তখন হিন্দু বিধবা নারীদের স্বামীর চিতায় সহমরণে যেতে বা আত্মাহুতি দিতে বাধ্য করা হত। রামমোহন রায় কলকাতায় আগস্ট ২০, ১৮২৮ সালে ইংল্যান্ড যাত্রার আগে দ্বারকানাথ ঠাকুরের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে ব্রাহ্মসমাজ স্থাপন করেন। পরবর্তীকালে এই ব্রাহ্মসমাজ এক সামাজিক ও ধর্মীয় আন্দোলন এবং বাংলার পুনর্জাগরণের পুরোধা হিসাবে কাজ করে। শৈশব ও শিক্ষা মে ২২, ১৭৭২ সালে হুগলী জেলার রাধানগর গ্রামে রামমোহন রায় জন্মগ্রহণ করেন এক সম্ভ্রান্ত ও ব্রাহ্মণ পরিবারে। প্রপিতামহ কৃষ্ণকান্ত ফারুখশিয়ারের আমলে বাংলার সুবেদারের আমিনের কার্য করতেন। সেই সূত্রেই 'রায়' পদবীর ব্যবহার বলে অনুমান করা হয়। কৃষ্ণকান্তের কনিষ্ঠ পুত্র ব্রজবিনোদ রামমোহনের পিতামহ। পিতা রামকান্ত। রামকান্তের তিন বিবাহ। মধ্যমা পত্নী তারিণীর এক কন্যা ও দুই পুত্র : জগমোহন ও রামমোহন। এঁদের বংশ ছিল বৈষ্ণব, কিন্তু রামমোহনের মাতা ছিলেন ঘোর তান্ত্রিক ঘরের কন্যা। রামকান্ত পৈতৃক এজমালি ভদ্রাসন ছেড়ে পার্শ্ববর্তী লাঙ্গুলপাড়া গ্রামে স্ব-পরিবারে উঠে যান। তার পিতা রামকান্ত রায় ছিলেন বৈষ্ণবী এবং মাতা তারিণী দেবী ছিলেন শাক্ত। পনেরো-ষোলো বছর বয়সে তিনি গৃহত্যাগ করে নানা স্থানে ঘোরেন। কাশীতে ও পাটনায় কিছুকাল ছিলেন এবং নেপালে গিয়েছিলেন। এর আগে তার সঙ্গে তন্ত্রশাস্ত্রবেত্তা সুপণ্ডিত নন্দকুমার বিদ্যালঙ্কারের (পরে হরিহরানন্দ তীর্থস্বামী কুলাবধূত নামে পরিচিত) যোগাযোগ হয়। রামমোহনের সংস্কৃতে বুৎপত্তি, তার বেদান্তে অনুরাগ নন্দকুমারের সহযোগিতায় হয়েছিল। ব্রাহ্ম উপাসনালয় প্রতিষ্ঠায় হরিহরানন্দই তার দক্ষিণ-হস্ত ছিলেন। বারাণসী থেকে প্রথাগত সংস্কৃত শিক্ষার পর তিনি পাটনা থেকে আরবি ও পারসি ভাষা শেখেন। পরে তিনি ইংরেজি, গ্রিক ও হিব্রু ভাষাও শেখেন। কর্ম-জীবন তরুণ বয়সে তিনি কলকাতায় মহাজনের কাজ করতেন। ১৭৯৬ সালে রামমোহন অর্থোপার্জন শুরু করেন। ১৮০৩ থেকে ১৮১৪ সাল পর্যন্ত ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কর্মচারী ছিলেন। কলকাতায় প্রায়ই আসতেন এবং কোম্পানির নবাগত অসামরিক কর্মচারীদের সঙ্গে পরিচিত হয়ে তাদের নানা বিষয়ে সাহায্য করেন। এই সুযোগে ভালো করে ইংরেজি শিখে নেন। ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কাজে সিভিলিয়ান কর্মচারীদের মধ্যে জন ডিগবির সঙ্গে তার সর্বাধিক ঘনিষ্ঠতা হয়। কোম্পানির কাজে ডিগবির অধীনে তিনি দেওয়ানরূপে রংপুরে কাজ করেন ১৮০৩ থেকে ১৮১৪ সাল পর্যন্ত। এই সময়ের মধ্যে তিনি দু'বার ভুটান সীমান্তে যান কোম্পানির হয়ে দৌত্যকার্যে ডিগবির সাহচর্যে তার সমস্ত নতুন চিন্তা এই সময়ের মধ্যেই পরিপক্কতা লাভ করে। ১৮১৫ খ্রিষ্টাব্দ থেকে রামমোহন কলকাতার স্থায়ী বাসিন্দা হন, এখন থেকেই প্রকাশ্যে তার সংস্কার-প্রচেষ্টার শুরু। তার প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ ফারসি ভাষায় লেখা (ভূমিকা অংশ আরবিতে) তুহফাতুল মুহাহহিদিন। বইটিতে একেশ্বরবাদের সমর্থন আছে। এরপর একেশ্বরবাদ (বা ব্রাহ্মবাদ) প্রতিষ্ঠা করার জন্য বেদান্ত-সূত্র ও তার সমর্থক উপনিষদগুলি বাংলার অনুবাদ করে প্রচার করতে থাকেন। ১৮১৫ থেকে ১৮১৯ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে প্রকাশিত হয় বেদান্তগ্রন্থ, বেদান্তসার, কেনোপনিষদ, ঈশোপনিষদ, কঠোপনিষদ, মাণ্ডূক্যোপনিষদ ও মুণ্ডকোপনিষদ। রক্ষণশীল ব্যক্তিরা ক্রুদ্ধ হয়ে তার লেখার প্রতিবাদ দেখাতে লাগলেন। এই সব প্রতিবাদ কটূক্তিপূর্ণ এবং বিদ্বেষ ভাবাপন্ন। রামমোহনও প্রতিবাদের প্রতিবাদ করলেন যুক্তি দিয়ে ও ভদ্রভাষায়। প্রতিবাদ-কর্তারা অবিলম্বে থেমে গিয়েছিলেন। প্রতিবাদ-কর্তাদের মধ্যে প্রথম ও প্রধান ছিলেন মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার, এঁর গ্রন্থের নাম 'বেদান্তচন্দ্রিকা'। বেদান্তচন্দ্রিকা'র প্রতিবাদে রামমোহন ভট্টাচার্যের সহিত বিচার লিখে প্রতিবাদীদের মুখ বন্ধ করে দিয়েছিলেন। 'বেদান্ত গ্রন্থ' প্রকাশের সঙ্গে তিনি ব্রহ্মনিষ্ঠ একেশ্বর উপাসনার পথ দেখালেন আত্মীয় সভা প্রতিষ্ঠা করে। এই আত্মীয় সভাকেই পরে তিনি ব্রাহ্মসমাজ নাম ও রূপ দেন। সাহেবদের বাংলা শেখানোর জন্য তিনি বাংলা ও ইংরেজিতে ব্যাকরণ রচনা করেন। সতীদাহ ও রামমোহন রায় বেদান্ত-উপনিষদগুলি বের করবার সময়ই তিনি সতীদাহ অশাস্ত্রীয় এবং নীতিবিগর্হিত প্রমাণ করে পুস্তিকা লিখলেন 'প্রবর্তক ও নিবর্তকের সম্বাদ'। প্রতিবাদে পুস্তিকা বের হল 'বিধায়ক নিষেধকের সম্বাদ'। তার প্রতিবাদে দ্বিতীয় ও তৃতীয় পুস্তিকা বের হয়। এই বছরেই ডিসেম্বর মাসে আইন করে সহমরণ-রীতি নিষিদ্ধ করা হয়। তবুও গোঁড়ারা চেষ্টা করতে লাগল যাতে পার্লামেন্টে বিষয়টি পুনর্বিবেচিত হয়। এই চেষ্টায় বাধা দেওয়ার জন্য রামমোহন বিলেত যেতে প্রস্তুত হলেন। এব্যাপারে তাকে আর্থিক সহায়তা দান করেন প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর। মোঘল সম্রাট ২য় আকবর তার দাবি ব্রিটিশ সরকারের কাছে পেশ করার জন্য ১৮৩০ সালে রামমোহনকে বিলেত পাঠান, তিনি রামমোহনকে রাজা উপাধি দেন। ব্রাহ্মসমাজ ও রামমোহন রায় বেদান্তচন্দ্রিকার প্রতিবাদে রামমোহন ভট্টাচার্যের সঙ্গে বিচার লিখে প্রতিবাদীদের মুখ বন্ধ করে দিয়েছিলেন। বেদান্ত গ্রন্থ প্রকাশের সঙ্গে তিনি ব্রহ্মনিষ্ঠ একেশ্বর উপাসনার পথ দেখান আত্মীয় সভা প্রতিষ্ঠা করে। এই আত্মীয় সভাকেই পরে তিনি ব্রাহ্মসমাজ নামে নতুন রূপ দেন। বিলেত ভ্রমণ ১৮৩০ খ্রিষ্টাব্দের ১৯ নভেম্বর তিনি কলকাতা থেকে বিলেত যাত্রা করেন। দিল্লির বাদশাহ দ্বিতীয় আকবর তাকে 'রাজা' উপাধি দিয়ে ১৮৩২ খ্রিষ্টাব্দের শেষের দিকে কিছুদিনের জন্য তিনি ফ্রান্সেও গিয়েছিলেন। তিনি ছিলেন আধুনিক ভারতের সমাজ সংস্কারের অন্যতম পথিকৃত্। সমাজ সংস্কার ধর্মীয় সংস্কার রামমোহন রায় একেশ্বরবাদে বিশ্বাস করতেন। তিনি হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মূর্তি পূজার বিরোধী ছিলেন। এই বিশ্বাস থেকে তিনি ব্রাহ্মসমাজ ও ব্রাহ্মধর্ম প্রতিষ্ঠা করেন। রামমোহন রায় হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের আচরণীয় ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান মানতেন না ও তা প্রকাশ্যে প্রতিবাদ করতেন। তিনি মনে করতেন সকল ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান কুসংস্কার ছাড়া কিছু নয়। রামমোহন রায় বেদের বাংলা অনুবাদ প্রকাশ করে তার বক্তব্য প্রমাণ করেন। শেষ জীবন রামমোহন রায় ১৮৩১ সালে মুঘল সাম্রাজ্যের দূত হিসেবে যুক্তরাজ্য ভ্রমণ করেন, তিনি ফ্রান্সও পরিদর্শন করেছিলেন। ১৮৩৩ সালে মেনিনজাইটিসে আক্রান্ত হয়ে ব্রিস্টলের কাছে স্টেপল্‌টনে মৃত্যুবরণ করেন। ব্রিস্টলে আর্নস ভ্যাল সমাধিস্থলে তাকে কবর দেওয়া হয়। ১৯৯৭ সালে মধ্য ব্রিস্টলে তার একটি মূর্তি স্থাপন করা হয়। আরও দেখুন আদি ধর্ম আত্মীয় সভা ব্রাহ্ম ধর্ম ব্রাহ্মসমাজ আদি ব্রাহ্মসমাজ সাধারণ ব্রাহ্মসমাজ আর্য সমাজ বাংলার ইতিহাস প্রার্থনা সমাজ তত্ত্ববোধিনী সভা হিন্দু কলেজ প্রেসিডেন্সী কলেজ তথ্যসূত্র আরও পড়ুন নগেন্দ্রনাথ চট্টপাধ্যায়, মহাত্মা রাজা রামমোহন রায়ের জীবন চরিত, কলকাতা, ১৮৮১; SD Collet, Life and Letters of Raja Rammohun Roy (2nd edition), Calcutta, 1914; K Nag & D Burman (ed), The English Works of Rammohun Roy, Calcutta, 1945-48. Sivanath Sastri, History of the Brahmo Samaj, 1911 বিষয়শ্রেণী:১৭৭২-এ জন্ম বিষয়শ্রেণী:১৮৩৩-এ মৃত্যু বিষয়শ্রেণী:বাঙালি দার্শনিক বিষয়শ্রেণী:বাংলার নবজাগরণ বিষয়শ্রেণী:কলকাতার ব্যক্তি বিষয়শ্রেণী:ব্রাহ্ম বিষয়শ্রেণী:মেনিনজাইটিসে মৃত্যু বিষয়শ্রেণী:হুগলী জেলার ব্যক্তি
রামমোহন রায়
পুনর্নির্দেশ পেনসিলভেনিয়া
Pennsylvania