text
stringlengths 11
126k
| title
stringlengths 1
182
|
---|---|
অন্নপূর্ণা গোস্বামী () ( ৮ মার্চ, ১৯১৬ - ১৯৫৭ ) ছিলেন বিংশ শতকের প্রথমার্ধের প্রগতিশীল এবং সামাজিক প্রতিশ্রুতিবদ্ধ উপন্যাসিক। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের লীলা পুরস্কারে সম্মানিত বাঙালি সাহিত্যিক। পেশাদার না হলেও প্রথম বাঙালি মহিলা ফটোগ্রাফারদের অন্যতম ছিলেন তিনি।
সংক্ষিপ্ত জীবনী
অন্নপূর্ণা গোস্বামীর জন্ম বৃটিশ ভারতের কলকাতায় ১৯১৬ খ্রিস্টাব্দের ৮ ই মার্চ। পিতা নীতীশচন্দ্র লাহিড়ী ছিলেন আইন ব্যবসায়ী এবং কলাম্বিয়া পিকচার্সের জেনারেল ম্যানেজার। পড়াশোনা প্রথমে কলকাতার সেন্ট জন'স ডায়সেশন গার্লস স্কুল ও ভিক্টোরিয়া ইনস্টিটিউশনে। কলেজের পাঠ শেষে বিবাহ করেন চিকিৎসক অবনীমোহন গোস্বামীকে। তিনি পূর্ব রেলের সহকারী শল্যচিকিৎসক ছিলেন। অন্নপূর্ণা গোস্বামী প্রথমে "অনামিকা" ছদ্মনামে লেখা শুরু করেন। তৎকালীন প্রগতিশীল সমাজে সাধারণ মানুষের পারিপার্শ্বিক অবস্থা বিশেষভাবে স্থান করে নিয়েছে তাঁর রচিত উপন্যাস ও ছোটোগল্পে। মানুষের সাহিত্য বা গণ-সাহিত্য হিসাবে পরিচিতি পেয়েছে। তিনি বিভিন্ন সময়ে তাঁর রচনার জন্য 'সাহিত্যকুশলা', 'ভারতী', 'সাহিত্য সরস্বতী' উপাধিপ্রাপ্ত হয়েছেন। ১৯৫২ খ্রিস্টাব্দে তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের "লীলা পুরস্কার" লাভ করেন। ১৯৫৪ খ্রিস্টাব্দে তাঁর "নয়া ইতিহাস" গ্রন্থটি ভারত সরকার কর্তৃক গণ-সাহিত্য হিসাবে নির্বাচিত হয়। অন্নপূর্ণা গোস্বামীর রচিত গ্রন্থগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্যগ্রন্থ গুলি হল -
রেললাইনের ধারে
ভ্রষ্টা (১৯৪৫)
বাঁধনহারা (১৯৪৬)
মৃগতৃষ্ণিকা (১৯৫৩)
সাঙ্গোপনে
এবার অবগুণ্ঠন খোল
তপস্বিনী
স্বাগতম
এক ফালি বারান্দা
তুমি শুধু ছবি প্রভৃতি।
অন্নপূর্ণা গোস্বামী ভালো ফটোগ্রাফারও ছিলেন। তিনি অবসর সময়ে ফটোগ্রাফিতেই সময় কাটাতেন। পেশাদার ফটোগ্রাফার না হলেও, তাঁর ছবিতে ফুটে উঠেছে কলকাতার আসল ছবি। পারিবারিক ছবি ছাড়াও 'শহুরে দরিদ্র' ও দেশভাগের পর 'কলকাতায় আসা শরণার্থী' এবং রেললাইনের ধারের কুঁড়ে ঘরে থাকা মানুষেরা, বস্তিবাসীরাই ছিল তাঁর ফটোগ্রাফির বিষয়াদি। যথেষ্ট অর্থবহ ছিল সে ছবিগুলি। সূর্যোদয়, সূর্যাস্তসহ নৈসর্গিক চিত্র, বাঁশের কুটিরে বিশাল আয়নায় শরণার্থীর চুল আঁচড়ানো, দুর্ভিক্ষের সময় পড়ে থাকা বস্তাবন্দি খাদ্যশস্য নিপুণতায় ক্যামেরাবন্দী হয়েছে।
তথ্যসূত্র
বিষয়শ্রেণী:১৯১৬-এ জন্ম
বিষয়শ্রেণী:১৯৫৭-এ মৃত্যু
বিষয়শ্রেণী:বাঙালি সাহিত্যিক | অন্নপূর্ণা গোস্বামী |
পুনর্নির্দেশ ব্রুনো ফের্নান্দেস | ব্রুনো ফের্নান্দেস (ফুটবলার, জন্ম ১৯৯৪) |
বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও শিল্পের একটি শাখা হিসাবে আলোকচিত্রশিল্প বিভিন্নভাবে ইউক্রেনে বিকশিত হয়েছে। ইউক্রেনের ভূমি ঐতিহাসিকভাবে রাশিয়া এবং অস্ট্রিয়া এই দুই সাম্রাজ্যের মধ্যে বিভক্ত ছিল। এই বিভক্তি ইউক্রেনের আলোকচিত্রশিল্পের সমিতিগুলির লক্ষ্যগুলিতে, আলোকচিত্রের প্রযুক্তিগত এবং সামাজিক ভূমিকাতে কিছু কিছু পার্থক্য সৃষ্টি করেছে।
আন্দোলন
খারকিভ আলোকচিত্র বিদ্যালয়
তথ্যসূত্র
বিষয়শ্রেণী:দেশ অনুযায়ী আলোকচিত্রশিল্প | ইউক্রেনের আলোকচিত্রশিল্প |
পুনর্নির্দেশ শরিয়া | শরিয়াহ |
টিলাগাঁও রেলওয়ে স্টেশন বাংলাদেশের সিলেট বিভাগের মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলায় অবস্থিত একটি রেলওয়ে স্টেশন।
ইতিহাস
১৮৯২ সালে ইংল্যান্ডে গঠিত আসাম বেঙ্গল রেলওয়ে কোম্পানি এদেশে রেলপথ নির্মাণের দায়িত্ব নেয়। ১৮৯৫ সালের ১ জুলাই চট্টগ্রাম থেকে কুমিল্লা ১৫০ কিমি মিটারগেজ লাইন এবং ১৮৯৬ সালে কুমিল্লা-আখাউড়া-শাহবাজপুর রেলপথ স্থাপন করা হয়। এসময় কুমিল্লা-আখাউড়া-শাহবাজপুর লাইনের স্টেশন হিসেবে টিলাগাঁও রেলওয়ে স্টেশন তৈরি করা হয়।
পরিষেবা
টিলাগাঁও রেলওয়ে স্টেশন দিয়ে চলাচলকারী ট্রেনের তালিকা নিম্নে দেওয়া হলো:
পাহাড়িকা এক্সপ্রেস
পারাবত এক্সপ্রেস
উদয়ন এক্সপ্রেস
জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস
উপবন এক্সপ্রেস
কালনী এক্সপ্রেস
সুরমা এক্সপ্রেস
জালালাবাদ এক্সপ্রেস
কুশিয়ারা এক্সপ্রেস
সিলেট কমিউটার (বন্ধ)।
তথ্যসূত্র
বিষয়শ্রেণী:মৌলভীবাজার জেলার রেলওয়ে স্টেশন | টিলাগাঁও রেলওয়ে স্টেশন |
শাহবাজপুর রেলওয়ে স্টেশন বাংলাদেশের সিলেট বিভাগের মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলায় অবস্থিত একটি রেলওয়ে স্টেশন। স্টেশনটি ২০০২ সাল থেকে বন্ধ রয়েছে। শাহবাজপুর বাংলাদেশ সীমান্তের সর্বশেষ স্টেশন।
ইতিহাস
১৮৯২ সালে ইংল্যান্ডে গঠিত আসাম বেঙ্গল রেলওয়ে কোম্পানি এদেশে রেলপথ নির্মাণের দায়িত্ব নেয়। ১৮৯৫ সালের ১ জুলাই চট্টগ্রাম থেকে কুমিল্লা ১৫০ কিমি মিটারগেজ লাইন এবং ১৮৯৬ সালে কুমিল্লা-আখাউড়া-শাহবাজপুর রেলপথ স্থাপন করা হয়। এসময় কুমিল্লা-আখাউড়া-শাহবাজপুর লাইনের সর্বশেষ স্টেশন হিসেবে শাহবাজপুর রেলওয়ে স্টেশন তৈরি করা হয়। ১৯০৩ সালে শাহবাজপুর থেকে লামডিং পর্যন্ত লাইন বিস্তৃত করা হয়।
পরিষেবা
২০০২ সাল থেকে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
তথ্যসুত্র
বিষয়শ্রেণী:মৌলভীবাজার জেলার রেলওয়ে স্টেশন
বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশের অব্যবহৃত রেলওয়ে স্টেশন | শাহবাজপুর রেলওয়ে স্টেশন |
পুনর্নির্দেশ মুজিব বাহিনী | মুজিববাহিনী |
কনৌজের সুগন্ধি, অথবা বলা যায় কনৌজের আতর, হল একটি ঐতিহ্যবাহী ভারতীয় সুগন্ধি উৎপাদন। এই সুগন্ধির উৎপাদন ভারতের উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের কনৌজে জনপ্রিয়।
এটি ভৌগোলিক নির্দেশকের (জিআই) অধীনে বৌদ্ধিক সম্পত্তির অধিকার নিয়ে বাণিজ্য সম্পর্কিত বিষয়সমূহ (টিআরআইপিএস) চুক্তির আওতায় সুরক্ষিত হয়েছে। এটি পেটেন্টস ডিজাইনস এবং ট্রেডমার্কের কন্ট্রোলার জেনারেল দ্বারা নিবন্ধীকরণের সাথে ভারত সরকারের জিআই আইন ১৯৯৯-এর "কনৌজ পারফিউম" হিসাবে সামগ্রী ১৫৭ তে তালিকাভুক্ত রয়েছে।
ইতিহাস
কনৌজের সুগন্ধির একটি দীর্ঘ ঐতিহাসিক পটভূমি রয়েছে এবং কনৌজ হাজার বছর ধরে সুগন্ধির ব্যবসা করে। সুগন্ধি উৎপাদনের পেছনে কনৌজে মূল ভূমিকার কারণে, শহরটি "ভারতের সুগন্ধি রাজধানী" হিসাবে পরিচিত এবং "ফ্রান্সের কাছে গ্র্যাসে যা, ভারতের কাছে কনৌজ হল তাই"। এই ক্ষেত্রের এক বিশেষজ্ঞ বলেছেন, "কনৌজ হাজার বছর ধরে দেশের সুগন্ধি শহর"।
সুগন্ধি উৎপাদনের দক্ষতা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মের মধ্যে প্রবাহিত হয়েছে। যখন কোনও কারিগর তার পরিবারের এই শিল্পে জড়িত থাকার বিষয়ে ব্যাখ্যা দেয়,সে বলে, "আমার পরিবার তিন শতাব্দী ধরে এই ক্ষেত্রে কাজ করে আসছে এবং আমার ছেলে ৩০তম প্রজন্ম"।
উৎপাদন
ফুল এবং প্রাকৃতিক সম্পদ থেকে এই সুগন্ধি তৈরি হয়। এছাড়াও কস্তুরী, কর্পূর, জাফরান এবং অন্যান্য সুগন্ধযুক্ত পদার্থ এই উৎপাদনের জন্য ব্যবহৃত হয়। সাদা জুঁইয়ের মতো ফুল এবং খসখসের মতো গাছ থেকে তৈরি সুগন্ধি গ্রীষ্মের বিভিন্ন বৈচিত্র্যের জন্য ব্যবহৃত হয়। বর্ষায় ব্যবহার করার জন্য মৃত্তিকা থেকে তৈরি হয় মিট্টি আতর, যেটি সিক্ত মাটির সুঘ্রাণ দেয়। হিনা আতর এবং কস্তুরী আতর শীতের সময় ব্যবহার করা হয়।
প্রাকৃতিক আতরগুলি, কিছু ব্যতিক্রম বাদে, অ্যালকোহল এবং রাসায়নিক মুক্ত। গোলাপ থেকে তৈরি আতরের গন্ধ অনেক বেশি, তবে চন্দনের তেল থেকে তৈরি আতরের দীর্ঘস্থায়ী সুগন্ধ থাকে। সাধারণত একটি ছোট বোতলে সুগন্ধি উৎপাদনের জন্য, প্রায় ১৫ দিন সময় লাগে।
বাজার
কনৌজের সুগন্ধির স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক বাজার রয়েছে এবং প্রায় ২০টি সংস্থা ইউকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব, ইরান, ইরাক, সিঙ্গাপুর, ফ্রান্স, ওমান, কাতার ইত্যাদির মতো দেশে সুগন্ধি রফতানি করে
আরো দেখুন
ভারতের ভৌগলিক নিদর্শনগুলির তালিকা
আতর
তথ্যসূত্র
গ্রন্থপঞ্জী
বহিঃসংযোগ
History of Kannauj Attar Perfumes
Making Perfume From the Rain
Land acquired for Kannauj perfume park
বিষয়শ্রেণী:উত্তর প্রদেশের ভৌগোলিক নির্দেশক
বিষয়শ্রেণী:সুগন্ধি
বিষয়শ্রেণী:ভারতীয় সংস্কৃতি | কনৌজের সুগন্ধি |
অমিতা মালিক (১৯২১—২০ ফেব্রুয়ারি ২০০৯) ছিলেন একজন ভারতীয় বাঙালি মিডিয়া সমালোচক। টাইম ম্যাগাজিন তাঁকে ভারতের "সর্বাধিক বিশিষ্ট চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন সমালোচক" হিসাবে বর্ণনা করেছিল এবং "ভারতীয় মিডিয়াতে প্রথম নারী" ও "ভারতীয় চলচ্চিত্রের শ্রেষ্ঠ ভাষ্যকার" বলে অভিহিত করেছিল।
১৯৯৪ সালে তিনি লখনউতে অল ইন্ডিয়া রেডিওতে নিজের কর্মজীবন শুরু করেছিলেন এবং পরে দ্য স্টেটসম্যান, দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়া, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস এবং পাইওনিয়ার সহ অনেক মুদ্রণ প্রকাশনার জন্য লেখালেখি করেছিলেন। ২০০৯ সালের ২০ ফেব্রুয়ারতে তিনি দক্ষিণ দিল্লির নিকটবর্তী কৈলাশ হাসপাতালে ৮৭ বছর বয়সে লিউকেমিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন।
শৈশব
অমিতা মালিক ব্রিটিশ ভারতের আসামের গুয়াহাটিতে একটি বাঙালি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। ২১ দিন বয়সী অমিতার একটি গাড়িতে যাত্রার সময় অন্য একটি গাড়ির সাথে ধাক্কা লেগেছিল, সেই গাড়িতে মহাত্মা গান্ধী বসে ছিলেন। এই ঘটনায় গান্ধীজি খুব উদ্বিগ্ন ছিলেন যে শিশুটি আঘাত পেল কিনা।
তাঁর জীবনের প্রথম দেখা চলচ্চিত্র ছিল চার্লি চ্যাপলিনের দ্য গোল্ড রাশ, এটি লরেটো কনভেন্ট শিলংয়ের প্রব্রাজিকাদের দ্বারা প্রদর্শিত হয়েছিল।
কর্মজীবন
"শনিবার দুপুরের খাবারের সময় ইউরোপীয় সঙ্গীতের সাপ্তাহিক অনুষ্ঠান উপস্থাপন" করতে তিনি মাসে লক্ষ টাকা বেতনে লখনউয়ের অল ইন্ডিয়া রেডিওতে যোগ দিয়েছিলেন। ১৯৪৪ সালে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে অল ইন্ডিয়া রেডিওর অনুষ্ঠান সহকারী পদের জন্য আবেদন করেছিলেন এবং তাঁকে দিল্লি স্টেশনে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। তিনিই একমাত্র ভারতীয় চলচ্চিত্র সমালোচক যিনি ইংমার বারিমান এবং মার্লোন ব্রান্ডোর মতো গুরুত্বপূর্ণ চলচ্চিত্র তারকা ও পরিচালকদের সাক্ষাৎকার নিতে পেরেছিলেন।
তাসখন্দে লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর মৃত্যুর পরে অপ্রত্যাশিতভাবে ইন্দিরা গান্ধী যখন ভারতের প্রধানমন্ত্রী হন তখন অমিতা মালিক ছিলেন তাঁর সাক্ষাৎকার গ্রহণকারী প্রথম সাংবাদিক।
তথ্যসূত্র | অমিতা মালিক |
বর্তমান নাট্য সপ্তাহ () হলো ইউক্রেনের কিয়েভে অনুষ্ঠিত প্রতিবছর সপ্তাহব্যপী একটি শিক্ষামূলক নাট্য উৎসব। আন্তর্জাতিক নাট্যকারদের দ্বারা ইউক্রেনীয় ভাষায় রচিত কাব্য এবং নাটক রচনাগুলি নিয়ে এই নাট্য উৎসব হয়। ২০১২ সালে মেরিশিয়া নিকিতিউক, অ্যান্ড্রু মে এবং নাটালিয়া ভোরোজবিত এই তিনজন মিলে এই নাট্য উৎসবের প্রথম সূচনা করেন। এই উৎসবটি পরিচালক এবং দর্শকদের সাথে নতুন নাট্যরচয়িতাদের কাজের পরিচয় হওয়ার সুযোগ করে দেয়। এই উৎসবে দর্শকদের বিচারে ব্যতিক্রমী বিষয়ে লেখার জন্য পুরস্কারও দেওয়া হয়।
তথ্যসূত্র
বিষয়শ্রেণী:ইউক্রেনের উৎসব | বর্তমান নাট্য সপ্তাহ |
পুনর্নির্দেশ ২০২১-২২ সংযুক্ত আরব আমিরাতে পাকিস্তান বনাম আফগানিস্তান ক্রিকেট দল | Pakistani cricket team against Afghanistan in the UAE in 2021–22 |
পুনর্নির্দেশ ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল | Black Bengal goat |
ফেদেরিকো কিয়েজা (, ; জন্ম: ২৫ অক্টোবর ১৯৯৭) হলেন একজন ইতালীয় পেশাদার ফুটবল খেলোয়াড়। তিনি বর্তমানে ইতালির পেশাদার ফুটবল লীগের শীর্ষ স্তর সেরিয়ে আ-এর ক্লাব ইয়ুভেন্তুস এবং ইতালি জাতীয় দলের হয়ে একজন আক্রমণভাগের খেলোয়াড় হিসেবে খেলেন। তিনি মূলত একজন ডান পার্শ্বীয় খেলোয়াড় হিসেবে খেললেও মাঝেমধ্যে বাম পার্শ্বীয় খেলোয়াড় এবং ডান পার্শ্বীয় মধ্যমাঠের খেলোয়াড় হিসেবে খেলে থাকেন।
২০০২–০৩ মৌসুমে, ইতালীয় ফুটবল ক্লাব সেত্তিগনানেসের যুব পর্যায়ের হয়ে খেলার মাধ্যমে কিয়েজা ফুটবল জগতে প্রবেশ করেছেন এবং পরবর্তীকালে ফিওরেন্তিনার যুব দলের হয়ে খেলার মাধ্যমে তিনি ফুটবল খেলায় বিকশিত হয়েছেন। ২০১৬–১৭ মৌসুমে, ইতালীয় ক্লাব ফিওরেন্তিনার হয়ে খেলার মাধ্যমে তিনি তার জ্যেষ্ঠ পর্যায়ের খেলোয়াড়ি জীবন শুরু করেছেন, যেখানে তিনি ৪ মৌসুম অতিবাহিত করেছেন; ফিওরেন্তিনার হয়ে তিনি ১৩৭ ম্যাচে ২৬টি গোল করেছেন। ২০২০–২১ মৌসুমে, তিনি ধারে ফিওরেন্তিনা হতে ইতালীয় ক্লাব ইয়ুভেন্তুসে যোগদান করেছেন।
২০১৫ সালে, কিয়েজা ইতালি অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে ইতালির বয়সভিত্তিক পর্যায়ে অভিষেক করেছিলেন। তিনি ২০১৮ সালে ইতালির হয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অভিষেক করেছেন; ইতালির জার্সি গায়ে তিনি এপর্যন্ত ২০-এর অধিক ম্যাচে অংশগ্রহণ করেছেন।
দলগতভাবে, কিয়েজা এপর্যন্ত ১টি শিরোপা জয়লাভ করেছেন, যা তিনি ইয়ুভেন্তুসের হয়ে জয়লাভ করেছেন।
প্রারম্ভিক জীবন
ফেদেরিকো কিয়েজা ১৯৯৭ সালের ২৫শে অক্টোবর তারিখে ইতালির জেনোয়ায় জন্মগ্রহণ করেছেন এবং সেখানেই তার শৈশব অতিবাহিত করেছেন। তার বাবার নাম এনরিকো কিয়েজা, যিনি সাম্পদোরিয়া, পারমা, ফিওরেন্তিনা এবং লাৎসিয়োর হয়ে খেলার পাশাপাশি ইতালি জাতীয় দলের হয়ে খেলেছেন।
আন্তর্জাতিক ফুটবল
কিয়েজা ইতালি অনূর্ধ্ব-১৯, ইতালি অনূর্ধ্ব-২০ এবং ইতালি অনূর্ধ্ব-২১ দলের হয়ে খেলার মাধ্যমে ইতালির প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ২০১৫ সালের ১২ই নভেম্বর তারিখে তিনি এক প্রীতি ম্যাচে চেক প্রজাতন্ত্র অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বিরুদ্ধে ম্যাচে ইতালি অনূর্ধ্ব-০০ দলের হয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অভিষেক করেছেন। ইতালি অনূর্ধ্ব-২০ দলের হয়ে তিনি ২০১৬ অনূর্ধ্ব-২০ এলিট লীগে অংশগ্রহণ করেছেন। তিনি ইতালি অনূর্ধ্ব-২১ দলের হয়ে ২০১৭ উয়েফা ইউরোপীয় অনূর্ধ্ব-২১ চ্যাম্পিয়নশিপ এবং ২০১৯ উয়েফা ইউরোপীয় অনূর্ধ্ব-২১ চ্যাম্পিয়নশিপে অংশগ্রহণ করেছেন, যার মধ্যে ২০১৭ সালে তার দল সেমি-ফাইনালে অংশগ্রহণ করতে সক্ষম হয়েছিল। ইতালির বয়সভিত্তিক দলের হয়ে তিনি প্রায় ৬ বছরে ২২ ম্যাচে অংশগ্রহণ করে ৬টি গোল করেছেন। তিনি ২০১৭ সালের ৪ঠা সেপ্টেম্বর তারিখে এক প্রীতি ম্যাচ স্লোভেনিয়া অনূর্ধ্ব-২১ দলের বিরুদ্ধে ইতালির বয়সভিত্তিক দলের হয়ে প্রথমবারের মতো গোল করেছেন।
২০১৮ সালের ২৩শে মার্চ তারিখে, মাত্র ২০ বছর ৪ মাস ২৬ দিন বয়সে, ডান পায়ে ফুটবল খেলায় পারদর্শী কিয়েজা আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে এক প্রীতি ম্যাচে অংশগ্রহণ করার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ফুটবলে ইতালির হয়ে অভিষেক করেছেন। তিনি উক্ত ম্যাচের মূল একাদশে অন্তর্ভুক্ত ছিলেন, তবে ৬২তম মিনিটে আক্রমণভাগের খেলোয়াড় আন্তোনিও কানদ্রেভার জন্য তিনি মাঠ ত্যাগ করেন; ম্যাচে তিনি ২৫ নম্বর জার্সি পরিধান করে একজন আক্রমণভাগের খেলোয়াড় হিসেবে খেলেছেন। ম্যাচটি ইতালি ২–০ গোলের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছিল। ইতালির হয়ে অভিষেকের বছরে কিয়েজা সর্বমোট ১১ ম্যাচে অংশগ্রহণ করেছেন। ৪ দিন পর, ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচে ইতালির একমাত্র গোলে অ্যাসিস্ট করার মাধ্যমে তিনি আন্তর্জাতিক ফুটবলে তার প্রথম অ্যাসিস্টটি করেন। জাতীয় দলের হয়ে অভিষেকের ১ বছর ৭ মাস ২৭ দিন পর, ইতালির জার্সি গায়ে প্রথম গোলটি করেন; ২০১৯ সালের ১৮ই নভেম্বর তারিখে, আর্মেনিয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচে ইতালির হয়ে নবম গোলটি করার মাধ্যমে তিনি আন্তর্জাতিক ফুটবলে তার প্রথম গোলটি করেন।
পরিসংখ্যান
আন্তর্জাতিক
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ
বিষয়শ্রেণী:১৯৯৭-এ জন্ম
বিষয়শ্রেণী:জীবিত ব্যক্তি
বিষয়শ্রেণী:ইতালীয় ফুটবলার
বিষয়শ্রেণী:ফুটবল ফরোয়ার্ড
বিষয়শ্রেণী:ফুটবল উইঙ্গার
বিষয়শ্রেণী:ফুটবল মধ্যমাঠের খেলোয়াড়
বিষয়শ্রেণী:সেরিয়ে আ-এর খেলোয়াড়
বিষয়শ্রেণী:এসিএফ ফিওরেন্তিনার খেলোয়াড়
বিষয়শ্রেণী:ইয়ুভেন্তুস ফুটবল ক্লাবের খেলোয়াড়
বিষয়শ্রেণী:ইতালির আন্তর্জাতিক ফুটবলার | ফেদেরিকো কিয়েজা |
অতুলকৃষ্ণ ঘোষ (১৮৯০ - ৪ মে ১৯৬৬) একজন ভারতীয় বিপ্লবী, অনুশীলন সমিতির সদস্য এবং যুগান্তর দলের নেতা এবং প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় হিন্দু জার্মান অস্ত্রসংগ্রহ ষড়যন্ত্রের সাথে জড়িত ছিলেন।
প্রাথমিক জীবন
অতুলকৃষ্ণ ১৮৯০ সালে নদিয়া জেলায় কুষ্টিয়ার এতমামপুর-জাদুবয়রা গ্রামের এক বাঙালি হিন্দু মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন, যা বর্তমানে বাংলাদেশে। তাঁর পিতা-মাতা তারেশচন্দ্র এবং বিনোদিনী দেবী। এই দম্পতির ছয়টি সন্তান ছিল। কুমারখালীতে তার প্রাথমিক স্কুল পরে, ১৯০৯ সালে কলকাতা হিন্দু স্কুল থেকে এন্ট্রান্স, ১৯১১ সালে স্কটিশ চার্চ কলেজ ইন্টারমিডিয়েটে এবং ১৯১৩ সালে বহরমপুরের কৃষ্ণনাথ কলেজ থেকে বি.এসসি পাস করেন। কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজে এম.এস.সি. পড়া শুরু করেন কিন্তু অতুল রাজনৈতিক আন্দোলনে সক্রিয় হয়ে পড়ায় কলেজ ছেড়ে দেন।
সশস্ত্র আন্দোলন
১৯০৬ সালে গ্রামের সঙ্গী নলিনীকান্ত করের সঙ্গে তিনি যতীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের অনুগ্রামী হন। তারা দুজনেই স্থানীয় অনুশীলন সমিতিতে প্রবেশ করেছিলেন। ডাব্লু সেলির প্রতিবেদনে জানান অতুলকৃষ্ণ ঘোষ এবং নলিনীকান্ত কর দুজন বিপজ্জনক গুরুত্বপূর্ণ বন্দুক চালানোর শেখেন। (P23) অতুল পাটালডাঙ্গায় অনুশীলন সমিতিতে আত্মরক্ষার জন্য বিশেষজ্ঞ প্রশিক্ষন নিয়েছিলেন। অতুলকৃষ্ণ ঘোষ এবং যতীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় পাথুরিয়াঘাটা ব্যয়াম সামিতির প্রতিষ্ঠা করেছিলেন যা ভারতীয় জাতীয় আন্দোলনের সশস্ত্র বিপ্লবের একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র ছিল। বীরেন দত্তগুপ্ত একটি চিঠিতে লিখেছেন ১৯১০ সালের ২৪শে জানুয়ারিত ডেপুটি কমিশনার শামসুল আলমের হত্যা, আলিপুর বোমা মামলার আন্ডার-ট্রায়াল বন্দীদের ম্যানেজ করেন। বীরেনের সফল মিশনের সাথে সম্পর্কিত, হাওড়া ষড়যন্ত্র মামলায় ছেচল্লিশ জন সহযোগী সহ যতীন্দ্রনাথকে বিচারের মুখোমুখি করা হয়েছিল। কারাগারের অভ্যন্তরে যতীন্দ্রনাথ বিদেশে তাঁর রাষ্ট্রদূতদের কাছ থেকে জানতে পারেন যে জার্মানি গ্রেট ব্রিটেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। ১৯১১ সালে মুক্তি পাওয়ার পরে যতীন্দ্রনাথ সমস্ত উগ্রবাদী তৎপরতা স্থগিত করেছিলেন, যতীন্দ্রনাথের নির্দেশে সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলিকে সশস্ত্র বিপ্লবের জন্য একত্রিত করার গুরু দায়িত্ব অতুলকৃষ্ণ নিয়েছিলেন।
যতীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের সাথে বিপ্লবী কর্মকান্ড
কলকাতার পুরো দায়িত্ব অতুলকৃষ্ণ ঘোষের হাতে অর্পণ করে পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে যতীন উপস্থিত হলেন তার পৈতৃক ভিটা ঝিনাইদহে। সেখানে ঠিকাদারের ব্যবসা শুরু করলেন তিনি যশোর-ঝিনাইদহ রেলপথ নির্মাণ উপলক্ষে। ব্যবসার সুবাদে তিনি সাইকেলে অথবা ঘোড়ার পিঠে চড়ে জেলায় জেলায় অবিশ্রাম ঘুরে গুপ্তসমিতির শাখাগুলিকে সন্নিহিত করে তুললেন।
১৯১৩ সালে বাংলা এবং বাংলার বাইরের বিভিন্ন শাখার কর্মী ও নেতারা মিলিত হলেন বর্ধমানে বন্যাত্রাণ উপলক্ষে। উত্তর ভারত থেকে রাসবিহারী বসু এসে যতীনের সংগে আলোচনা করে নূতন প্রেরণায় উদ্বুদ্ধ হলেনঃ অমরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের মাধ্যমে যতীনের সংগে একাধিক বৈঠকে রাসবিহারী সিদ্ধান্ত নিলেন ফোর্ট উইলিয়ামের সৈন্য-বহরের পরিচালকদের সহযোগিতায় কলকাতা থেকে পেশোয়ার অবধি বিদ্রোহের আগুন জ্বলবে ১৮৫৭ সালের দৃষ্টান্তকে সামনে রেখে। ১৯১৪ সালে বাবা গুরুদিত সিং এর নেতৃত্বে আমেরিকা থেকে পাঞ্জাবী যাত্রী নিয়ে কোমাগাটা মারু জাহাজ বাংলার বজবজ বন্দরে এলে ব্রটিশ সেনার দ্বারা উৎপীড়িত যাত্রীদের পাঞ্জাবে পৌঁছানোর ব্যবস্থায় তিনি বিশিষ্ট ভূমিকা নেয়। একবার এক অসুস্থ সহকর্মীকে কাঁধে করে হাসপাতালের পাঁচিল ডিঙ্গিয়ে বাইরে নিয়ে আসেন। গার্ডেনরীচে মোটরচালিত ট্যাক্সির সাহায্যে অভিনব পদ্ধতিতে ডাকাতি করা এবং ইংস্পেক্টর সুরেশ মুখার্জির হত্যার ঘটনায় অতুলকৃষ্ণ ঘোষের যোগ ছিল। ১৯১৫-১৯২১ সাল পর্যন্ত এই সময়ে ভারত-জার্মান অস্ত্রসংগ্রহ ষড়যন্ত্রে যুক্ত থাকায় অমরেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়, যদুগোপাল মুখোপাধ্যায় ও অন্যান্যদের সঙ্গে আত্মগোপন করে থাকেন ওই সময় চন্দননগরের ফরাসীরা তাঁদের আশ্রয় দেন। সেখান থেকে তাঁরা পুলিশের কার্যকলাপের প্রতি লক্ষ্য রাখেন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের শেষে সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সহযোগিতায় ইংরেজ সরকার ভারত - জার্মান ষড়যন্ত্রকারীদের উপর থেকে শাস্তির পরোয়ানা তুলে নেন। অতুলকৃষ্ণ মুক্তি পেলেন কিন্তু তার আগেই বুড়িবালামের যুদ্ধে যতীন্দ্রনাথের মৃত্যু হয় । এই আঘাতে তিনি সক্রিয় স্বাধীনতা সংগ্রাম থেকে সরে আসেন।
তবুও, ১৯২৪ সালের জানুয়ারিতে, গোপীনাথ সাহা একজন ইংরেজ আর্নেস্ট ডে কে হত্যা করেন, যিনি কলকাতা পুলিশের বহুল-ঘৃণ্য কমিশনার (যতীন মুখোপাধ্যায়কে হত্যা করার জন্য) তাকে টেগার্ট বলে গণ্য করেছিলেন, অতুলকৃষ্ণকে রাজবন্দী করা হয়েছিল, ১৯২৬ সালে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। একই বছর তিনি মজিলপুরের মেনকারানী রক্ষিতকে বিয়ে করেন এবং রাজনীতি থেকে নিজেকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন করে ব্যবসায়ে নামেন। শেষ বয়সে তিনি আধ্যাত্মিক জীবনে বিশ্বাসী হয়ে ওঠেন। পৃথ্বীন্দ্র মুখোপাধ্যায়ের (বাঘা যতিনের নাতি) এক সাক্ষাত্কারে ২৭ অক্টোবর ১৯৬৩সালে মৃত্যুর কিছু আগে - অতুলকৃষ্ণ দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলেছিলেন: "দাদা চুম্বক ছিলেন; আমরা সকলেই লোহার স্ক্র্যাপগুলি তার কাছ থেকে আমাদের শক্তি পেয়েছিলাম। যখন তিনি আর ছিলেন না, আমরা সবাই লোহার স্ক্র্যাপে পরিণত হয়েছি। আমার প্রথম আনুগত্য দাদার কাছে গিয়েছিল। যতীন্দ্রনাথের অভূতপূর্ব শক্তির উৎস সম্পর্কে জানতে চাইলে অতুলকৃষ্ণ জবাব দিয়েছিলেন: "তিনি ছিলেন একজন খুব দক্ষ প্রশিক্ষিত কুস্তিবিদ ছিলেন। কিন্তু যে বিষয়টি তাকে চিহ্নিত করেছিল তা ছিল তার দেশভক্তি, আত্মাশক্তি এবং তার একাগ্রতা শক্তি।
অতুলকৃষ্ণ ঘোষ ৪ মে ১৯৬৬ সালে কলকাতায় তাঁর বাসভবনে শান্তিপূর্ণভাবে মারা যান।
তথ্যসূত্র
জীবনী
"বিপ্লবী অতুলকৃষ্ণ ঘোষ", ভূপেন্দ্রকুমার দত্ত, শ্রী সরস্বতী গ্রন্থাগার, কলকাতা, ১৯৬৬ (এবিবিআর বিকেডি)
"ঘোষ, অতুলকৃষ্ণ (১৮৯০-১৯৬৬))" ভুপেন্দ্রকুমার দত্ত ডিকশনারি অফ ন্যাশনাল বায়োগ্রাফি, (সম্পাদনা) এসপি সেন, খণ্ড। II, ১৯৭৩, পিপিপি ৭–৩৮ (এবিবিআর ডিএনবি)
জে সি সি নিক্সনের রিপোর্ট "বিপ্লবী সংগঠন" বাংলার স্বাধীনতা সংগ্রামী, সম্পাদনা। অমিও কুমার সামন্ত, দ্বিতীয় খণ্ড, ১৯৯৫ (এবিবিআর নিক্সন) লিখেছেন।
ডাব্লু. সিলির রিপোর্ট, বাংলার স্বাধীনতা সংগ্রামী "বিহার ও উড়িষ্যার সাথে সংযোগ", সম্পাদনা। অমিও কুমার সামন্ত, ভোল্ট ভ, ১৯৯৫ (এবিবিআর সেলি) লিখেছেন।
সাধক বিপ্লবী যতীন্দ্রনাথ, পৃথ্বীন্দ্র মুখোপাধ্যায়, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পুস্তক বোর্ড, ১৯৯০
বিপ্লবীর জীবন-দর্শন, আত্মজীবনী, প্রতুলচন্দ্র গাঙ্গুলি, ১৯৭৬
বহিঃসংযোগ
বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশী বিপ্লবী
বিষয়শ্রেণী:১৮৯০-এ জন্ম
বিষয়শ্রেণী:১৯৬৬-এ মৃত্যু
বিষয়শ্রেণী:ভারতীয় বিপ্লবী
বিষয়শ্রেণী:ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন
বিষয়শ্রেণী:অনুশীলন সমিতি
বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশ থেকে ভারতীয় স্বাধীনতা কর্মী
বিষয়শ্রেণী:পূর্ববঙ্গের ব্রিটিশ উপনিবেশবাদ বিরোধী বিপ্লবী
বিষয়শ্রেণী:হিন্দু-জার্মান ষড়যন্ত্র | অতুলকৃষ্ণ ঘোষ |
পাইভি টরমা একজন ফিনিশ বিজ্ঞানী যিনি অ্যাল্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপক। তিনি ওউলু এবং কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। অধ্যাপক টরমার গবেষণার বিষয়বস্তু হচ্ছে তাত্ত্বিক এবং পরীক্ষামূলক কোয়ান্টাম পদার্থবিজ্ঞান। তাঁর গবেষণা প্রকল্পের একটি লক্ষ্য হচ্ছে তাত্ত্বিকভাবে অতিপরিবাহিতার সীমা অধ্যয়ন করা।
টরমা ফিনিশ একাডেমি অফ সায়েন্সেস, প্রকৌশল একাডেমি এবং ফিনিশ বিজ্ঞান অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য।
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ
বিষয়শ্রেণী:পদার্থবিজ্ঞানী | পাইভি টরমা |
আম্বেমোহর হল একটি সুগন্ধি ধানের জাত যা ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের পশ্চিম ঘাট অঞ্চলের পাদদেশে জন্মে।
ইতিহাস এবং ব্যুৎপত্তি
আম্বেমোহর শব্দের অর্থ মারাঠি ভাষায় আমের ফুল, যা মহারাষ্ট্র রাজ্যে কথিত যেখানে এর চাষের উদ্ভব হয়। ভাতটিতে আমের ফুল ফোটার স্মৃতি মনে করিয়ে দেওয়ার মতো দৃঢ় সুগন্ধ রয়েছে। এই অঞ্চলটিতে দীর্ঘদিন ধরে ধানের চাষ হচ্ছে। এক শতাব্দী আগে পুনে জেলার মুলশি অঞ্চলে প্রায় ৫৪,০০০ টন জাতের ধান উৎপাদিত হয়েছিল।
উৎপাদন এবং চাষাবাদ
জাতটি ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের পশ্চিম ঘাট অঞ্চলের পাদদেশে জন্মে। এটি স্বল্প ফলনশীল চাল (১.৯ টন / হেক্টর)। শস্যগুলি সুপরিচিত বাসমতী ধানের তুলনায় সংক্ষিপ্ত আকারের (৫.৫) মিমি) এবং প্রশস্ত (২.২ মিমি) হয়। উভয় জাতের সুগন্ধির পরিমাণ সমান। জাতটি তাই বাসমতির মতো সুগন্ধী ধানের শ্রেণিতে অন্তর্ভুক্ত। স্বল্প রান্না করা শস্যগুলিতে সহজেই ভাঙ্গতে এবং একসাথে আটকে থাকার প্রবণতা থাকে।
সম্পর্কিত জাত
আম্বেমোহর অন্যান্য জাতের ধানের তুলনায় স্বল্প ফলনশীল, কারণ এটি রোগের প্রতি সংবেদনশীল। আম্বেমোহরের সাথে ইন্দ্রনানী নামক সংকরটি ১৯৮৭ সালে প্রকাশিত হয়েছিল। এটি লোনাভালার নিকটে চাল গবেষণা কেন্দ্র দ্বারা বিকাশিত হয়েছিল। ফুলে মাওল ও ফুলের সমৃদ্ধির মতো নতুন জাতের ধান তৈরিতেও ইন্দ্রনানী পরিবর্তন করা হয়েছে।
ব্যবহারসমূহ
ডান|থাম্ব| পুনে জেলার মুলশি তালিকার অবস্থান
আম্বেমোহর চাল স্থানীয়ভাবে প্রধানত শিশু, বৃদ্ধ এবং রোগীদের জন্য 'ভাটাচি পেজ' নামে চাল এবং দুধের ঘন স্যুপ তৈরি করতে ব্যবহৃত হয়। (ভাত কাঞ্জি) ভাতটি ধর্মীয় ও বিবাহ অনুষ্ঠানেও ব্যবহৃত হয়। পুনে জেলার মুলশি অঞ্চলে, এটি 'ভাফোল্যা' তৈরিতে ব্যবহৃত হয় - মকর সংক্রান্তি উৎসব চলাকালীন একটি ঐতিহ্যবাহী খাদ্য সামগ্রী। ভাতটি নরম ইডলি এবং খাস্তা ডোসা তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। এটি মারাঠি ভাষায় কুর্মুরে নামে ভাত তৈরির জন্যও ব্যবহৃত হয়। ধান থেকে নেওয়া তুষ তেল উত্তোলনের জন্য বা মাশরুম চাষের জন্য ব্যবহৃত হয়।
ভৌগলিক সূচক
সাহ্যাদ্রি রেঞ্জের পূর্ব পাদদেশে পুনে জেলার মুলশি তালুকা মহকুমাটিকে আম্বেমোহরের জন্য ভৌগলিক সূচক দেওয়া হয়েছে।
একই ধরনের চেহারাবিশিষ্ট চাল
নিয়মিতভাবে আম্বেমোহর চাষকারী কৃষকদের সন্ধান করা এখন বিরল। যেহেতু এর উৎপাদন ব্যয় বেশি, তাই খুচরা ব্যয়ও বেশি হতে হবে। সুতরাং, মহারাষ্ট্রের খুচরা বিক্রেতারা বেশি লাভ অর্জনের জন্য মূল আম্বেমোহর হিসাবে একই ধরনের চেহারাবিশিষ্ট চাল পাস করেন। এটি আম্বেমোহর উৎপাদনকে আরও নিরুৎসাহিত করেছে, যেহেতু কৃষকরা একই ধরনের চেহারাবিশিষ্ট চাল দ্বারা আরও বেশি লাভ অর্জন করতে পারে। অন্ধ্র প্রদেশের জিরা সংভার চাল এবং মধ্য প্রদেশের জওফুল খুচরা বিক্রেতাদের কাছে সর্বাধিক জনপ্রিয় একই ধরনের চেহারাবিশিষ্ট চাল।
আরো দেখুন
বাসমতী চাল
সুগন্ধি চাল
ধানের জাতের তালিকা
ওরিজা স্যাটিভা
ওহানী ভাত
তথ্যসূত্র
বিষয়শ্রেণী:Rice varieties
বিষয়শ্রেণী:Agriculture in Maharashtra
বিষয়শ্রেণী:Rice production in India
বিষয়শ্রেণী:Geographical indications in Maharashtra | আম্বেমোহর চাল |
জাহাজের স্থিতিশীলতা হলো নৌ স্থাপত্য এবং জাহাজ নকশার এমন একটি অঞ্চল যা কোনও জাহাজ সমুদ্রের সাথে কীভাবে আচরণ করে, স্থির জলে এবং তরঙ্গ উভয়ই অক্ষত থাকে বা ক্ষতিগ্রস্থ হয়। স্থায়িত্ব গণনার প্রধানত মাধ্যাকর্ষণ কেন্দ্র, উচ্ছ্বাসের কেন্দ্র, জাহাজের মেটাসেন্টার এবং কীভাবে এইগুলো মিথস্ক্রিয়া করে তা বিশ্লেষন করে।
ইতিহাস
থাম্ব|নিউক্যাসল বিশ্ববিদ্যালয়ের টয়িং ট্যাঙ্কে একটি মডেল ইয়ট পরীক্ষা করা হচ্ছে
জাহাজের ভারসাম্য যেহুতু নৌ স্থাপত্যের বিবেচ্য বিষয়, তাই শত বছর ধরে এটি গুরুত্ব সহকারে বিবেচিত হচ্ছে। প্রাচীনকাল থেকেই জাহাজের ভারসাম্যের হিসাব কিছু নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর নির্ভর করে আসছে। এর মধ্যে অনেক পুরাতন সমীকরণ আজও নৌ স্থাপত্যের বইগুলোতে অবিরাম ব্যবহৃত হচ্ছে। যাইহোক, ভারসাম্য হিসাবের ক্যালকুলাস ভিত্তিক পদ্ধতির আবির্ভাব, বিশেষত পিয়ের বাউগারের ১৭৪০-এর দশকের জাহাজের মডেল বেসিনে মেটাসেন্টার ধারণাটি প্রবর্তন, আরও জটিল বিশ্লেষণের পথ প্রশস্থ করে।
অতীতের জাহাজ নির্মাতাগণ অভিযোজিত এবং নানাবিধ নকশার ব্যবহার করেছিলেন। জাহাজগুলি প্রায়শই কেবল সামান্য পরিবর্তন করে এক প্রজন্ম থেকে অন্য প্রজন্মের মধ্যে অনুলিপি করা হয়; স্থিতিশীল নকশাগুলির প্রতিলিপি দ্বারা, গুরুতর সমস্যা এড়ানো সম্ভব হয়। জাহাজগুলি আজও অভিযোজন এবং প্রকরণের এই প্রক্রিয়াটি ব্যবহার করে; যাইহোক, গণনা তরল গতিবিদ্যা, জাহাজের নকশা পরীক্ষণ এবং প্রবাহি এবং জাহাজের গতি সম্পর্কে আরও সামগ্রিক ধারনার ফলে আরো অনেক বিশ্লেষণধর্মী নকশা অনুমোদিত হয়েছে।
আড়াআড়ি এবং অনুদৈর্ঘ্য জলরোধী বিভাজন ১৮৬০ এবং ১৮৮০ এর মধ্যে আয়রনক্ল্যাড ডিজাইনে চালু হয়েছিল , ব্রিটিশ বাষ্প বণিক জাহাজগুলিতে ১৮৬০ এর আগে সংঘর্ষরোধী বিভাজনগুলি বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল। এর আগে, কোনও জাহাজের যে কোনও অংশে একটি হালের ক্ষতি তার পুরো দৈর্ঘ্যকে প্লাবিত করতে পারতো। আড়াআড়ি বিভাজন, ব্যয়বহুল হলেও, হালের ক্ষতি হওয়ার পরও জাহাজের টিকে থাকার সম্ভাবনা বৃদ্ধি করে, পানির প্রবেশ কেবল ক্ষতিগ্রস্ত অংশগুলিতে সীমাবদ্ধ করে তারা অবিক্ষত অংশ থেকে পৃথক করে। অনুদৈর্ঘ্য বিভাজনগুলির একই উদ্দেশ্য রয়েছে, তবে অতিরিক্ত বাঁকা হওয়া দূর করতে ক্ষতিগ্রস্থ স্থায়িত্বের প্রভাবগুলি অবশ্যই বিবেচনায় নেওয়া উচিত। বর্তমানে, বেশিরভাগ জাহাজের বিভাজনগুলোতে পোর্ট এবং স্টারবোর্ডে (ক্রস ফ্লাডিং) জল সমান করার উপায় রয়েছে, যা কাঠামোগত চাপ এবং জাহাজের আড়াআড়ি ও অনুদৈর্ঘ্যভাবে বাকা হয়ে ঝুঁকে যাওয়া কমাতে সহায়তা করে।
অ্যাড অন স্থায়িত্ব সিস্টেম
থাম্ব|জাহাজ ভারসাম্য ডায়াগ্রামে দেখানো আছে,মাধ্যাকর্ষণ কেন্দ্র (জি), বুয়েন্সির কেন্দ্র (বি), এবং মেটাসেন্টার (এম) সহ জাহাজটি খাড়া এবং একপাশে কাত করা হয়েছে। যতক্ষণ কোনও জাহাজের বোঝা স্থির থাকে, জি স্থির থাকে। ছোট কোণগুলির জন্য এমও স্থির বলে মনে করা যেতে পারে, এবং বি জাহাজের কাত হওয়ার সাথে পরিবর্তিত হয়।
অক্ষত অবস্থায় ভারসাম্য গণনা তুলনামূলকভাবে সহজ এবং সম্পূর্ণ জাহাজের ভরকেন্দ্রকে চিহ্নিত করার জন্য জাহাজের সমস্ত বস্তুর ভর কেন্দ্রগুলি এবং হালের উচ্ছ্বাসের কেন্দ্র গণনা করা হয়। জাহাজের মালামালের বিন্যাস এবং, কপিকলের ক্রিয়াকলাপ এবং সমুদ্রের অবস্থাগুলো সাধারণত বিবেচনায় নেওয়া হয়। ডানদিকে চিত্রটি দেখায় অভিকর্ষের কেন্দ্রটি উচ্ছ্বাসের কেন্দ্রের চেয়ে উপরে রয়েছে, তাই জাহাজটি স্থিতিশীল রয়েছে। জাহাজটি স্থিতিশীল কারণ এটি বাঁকতে শুরু করার সাথে সাথে হালের একপাশ জল থেকে উঠতে শুরু করে এবং অন্য দিকটি ডুবে যেতে শুরু করে। এতে উচ্ছ্বাসের কেন্দ্রটি পানির নিচের দিকে সরে যায়। নৌ স্থাপত্য প্রকৌশলির কাজ হচ্ছে নিশ্চিত করা যে উচ্ছ্বাসের কেন্দ্রটি জাহাজ বেঁকে যাওয়ার সাথে সাথে মাধ্যাকর্ষণ কেন্দ্রের বহির্মুখে স্থানান্তরিত করবে। সামান্য বাঁকানো অবস্থানে উচ্ছ্বাস কেন্দ্র দিয়ে গমনকারী উল্লম্বভাবে আঁকা একটি লাইন কেন্দ্ররেখার সাথে মেটাসেন্টার নামক একটি বিন্দুতে ছেদ করে। যতক্ষণ মেটাসেন্টার অভিকর্ষের কেন্দ্রের চেয়ে উপরে থাকে ততক্ষণ জাহাজটি খাড়া অবস্থায় স্থিতিশীল থাকে।
অক্ষত অবস্থায় ভারসাম্য গননার চেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ অবস্থায় ভারসাম্যের গণনা আরও জটিল। সংখ্যাসূচক পদ্ধতি ব্যবহার করে সফ্টওয়্যার সাধারণত নিযুক্ত করা হয় কারণ ক্ষেত্রফল এবং আয়তনগুলো দ্রুত অন্যান্য পদ্ধতি ব্যবহার করে গণনা করা ক্লান্তিকর এবং সময়সাপেক্ষ হতে পারে।
তথ্যসূত্র | জাহাজের ভারসাম্য |
পুনর্নির্দেশ ২০২১ ভারত ক্রিকেট দলের ইংল্যান্ড সফর | Indian cricket team in England in 2021 |
পুননির্দেশ কণ্ঠাস্থি | ক্লাভিকল |
পুনর্নির্দেশ এনএক্সটি নারী ট্যাগ টিম চ্যাম্পিয়নশিপ#রাজত্ব | এনএক্সটি নারী ট্যাগ টিম চ্যাম্পিয়নদের তালিকা |
পুনর্নির্দেশ এনএক্সটি নারী ট্যাগ টিম চ্যাম্পিয়নশিপ | এনএক্সটি নারীদের দলগত চ্যাম্পিয়নশিপ |
পুনর্নির্দেশ ডাব্লিউডাব্লিউই নারী ট্যাগ টিম চ্যাম্পিয়নশিপ | ডাব্লিউডাব্লিউই মহিলা দলগত চ্যাম্পিয়নশিপ |
পুনর্নির্দেশ ডাব্লিউডাব্লিউই নারী ট্যাগ টিম চ্যাম্পিয়নশিপ#রাজত্ব | ডাব্লিউডাব্লিউই নারী ট্যাগ টিম চ্যাম্পিয়নের তালিকা |
পুনর্নির্দেশ এনএক্সটি উত্তর আমেরিকান চ্যাম্পিয়নশিপ | NXT NA Championship |
পুনর্নির্দেশ এনএক্সটি উত্তর আমেরিকান চ্যাম্পিয়নশিপ#রাজত্ব | এনএক্সটি উত্তর আমেরিকান চ্যাম্পিয়নদের তালিকা |
পুনর্নির্দেশ শেনা বেজলার | শ্যানা বেজলার |
পুনর্নির্দেশ উইকিপিডিয়া:রচনাশৈলী নির্দেশনা/ইসলাম-সম্পর্কিত নিবন্ধ#আল্লাহ | MOS:ALLAH |
অ্যামাজন ইলাস্টিক কম্পিউট ক্লাউড (ইসি 2) অ্যামাজন ডটকমের ক্লাউড-কম্পিউটিং প্ল্যাটফর্ম, আমাজন ওয়েব সার্ভিসেস (এডাব্লুএস)-এর একটি অংশ, যেখানে ব্যবহারকারীরা ভার্চুয়াল মেশিনগুলি ভাড়া নিতে পারে যার উপর তাদের নিজস্ব কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশন চালাতে পারে।
ইতিহাস
অ্যামাজন ২৫শে আগস্ট, ২০০৬ এ ইসি2 এর একটি সীমাবদ্ধ পাবলিক বিটা পরীক্ষার ঘোষণা করে, প্রথম আসা, প্রথম পরিবেশন ভিত্তিতে অ্যাক্সেসের অফার করে ।
দৃষ্টান্ত ধরণ
বৈশিষ্ট্য
অপারেটিং সিস্টেম
অবিচল স্টোরেজ
ইলাস্টিক আইপি ঠিকানা
অ্যামাজন ক্লাউডওয়াচ
স্বয়ংক্রিয় স্কেলিং
তথ্যসূত্র
বিষয়শ্রেণী:আমাজন (কোম্পানি) | আমাজন ইলাস্টিক কম্পিউট ক্লাউড |
বুচ এবং ফেম পদটি লেসবিয়ান সংস্কৃতিতে পুরুষালী (বুচ) এবং মেয়েলী (ফেম) পরিচয় ও এর সাথে সম্পর্কিত বৈশিষ্ট্য, আচরণ, ব্যবহার , স্ব-উপলব্ধি ইত্যাদি বোঝাতে ব্যবহৃত হয়। পদটি বিংশ শতাব্দীতে লেসবিয়ান সম্প্রদায়গুলিতে উদ্ভূত হয়েছিল। বুচ-ফেম সংস্কৃতি লেসবিয়ান দ্বৈত সমষ্টির একমাত্র রূপ নয়, কারণ বুচ-বুচ এবং ফেম-ফেম সম্পর্কেও অনেক মহিলারা রয়েছেন ৷
থাম্ব|200px|left|বুচ লেসবিয়ান (বাদিকে) এবং ফেম লেসবিয়ান (ডানদিকে)৷
কিছু লেসবিয়ান নারীবাদীরা যুক্তি দেখিয়েছেন যে বুচ ফেম হল বিপরীতকামী সম্পর্কের একটি প্রতিরূপ, অন্য ভাষ্যকারদের যুক্তি এই যে বিপরীতকামী সম্পর্কের সাথে মিল থাকলেও বুচ-ফেম একই সাথে এটিকে প্রশ্ন করে।
জুডিথ বাটলার এবং অ্যান ফ্যাস্টো-স্টার্লিংয়ের মতো পণ্ডিতরা বলেন যে বুচ এবং ফেম "ঐতিহ্যবাহী" লিঙ্গ ভূমিকা গ্রহণ করার চেষ্টা নয়। পরিবর্তে তারা যুক্তি দেন যে লিঙ্গ প্রয়োজনীয় "প্রাকৃতিক" বা জৈবিকের পরিবর্তে সামাজিক এবং ঐতিহাসিকভাবে নির্মিত হয়েছে ৷ ফেম লেসবিয়ান ঐতিহাসিক জোয়ান নেসলে যুক্তি দেখান যে ফেম এবং বুচকে নিজস্ব পরিচয়ে আলাদা লিঙ্গ হিসাবে দেখা যেতে পারে ৷
তথ্যসূত্র | বুচ এবং ফেম |
অনিতা পি. বার্বি একজন আমেরিকান মনোবিজ্ঞানী এবং সমাজকর্মী। তিনি লুইসভিল বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্ট স্কুল অফ সোশ্যাল ওয়ার্কের অধ্যাপিকা ও বিশিষ্ট পণ্ডিত।
শিক্ষা
অনিতা বার্বি ১৯৮২ সালে অ্যাগনেস স্কট কলেজ থেকে ইংরেজি এবং মনোবিজ্ঞানে বি.এ. সম্পন্ন করে জর্জিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিলেন, সেখানে তিনি ১৯৮৫ ও ১৯৮৮ সালে যথাক্রমে এমএ এবং পিএইচডি অর্জন করেছিলেন। তাঁর পিএইচডি সন্দর্ভটির (থিসিস) শিরোনাম ছিল ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের আনন্দভোগ প্রক্রিয়াতে ইতিবাচক এবং নেতিবাচক মেজাজের প্রভাব যা ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন ফর রিলেশনশিপ রিসার্চ (আইএআরআর) থেকে গবেষণামূলক পুরস্কার পেয়েছে। তিনি ২০০১ সালে কেন্ট স্কুল অফ সোশ্যাল ওয়ার্ক থেকে সমাজকর্মে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন।
কর্মজীবন
মূলত সামাজিক মনোবিজ্ঞানের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত অনিতা বার্বি ১৯৯৩ সালে কেন্ট স্কুল অফ সোশাল ওয়ার্কে কাজ শুরু করেছিলেন। সেখানে তাঁর প্রথম গবেষণাটি ছিল শিশু কল্যাণ মূল্যায়নের সাথে সম্পর্কিত, তবে ১৯৯৬ সাল থেকে তিনি বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পারিবারিক সহিংসতা এবং অন্যান্য ঝুঁকিপূর্ণ আচরণ নিয়ে গবেষণা করে চলছেন।
শিক্ষায়তনিক সম্মাননা
অনিতা বার্বি আইএআরআরের সভাপতি এবং সোসাইটি ফর দ্য সোস্যাল সাইকোলজিকাল স্টাডি অফ সোশ্যাল ইস্যুসের ফেলো নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০১৬ সালে তিনি আমেরিকান একাডেমি অফ সোশ্যাল ওয়ার্ক অ্যান্ড সোশ্যাল ওয়েলফেয়ারের ফেলো হিসাবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিলেন। তিনি ন্যাশনাল স্টাফ ডেভলপমেন্ট অ্যান্ড ট্রেনিং অ্যাসোসিয়েশনের কার্যনির্বাহী কাউন্সিলের সদস্য হয়েছিলেন, ২০০৭ সালে তিনি ওই প্রতিষ্ঠানের আজীবন সম্মাননা এবং ২০১৪ সালে ওই রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে পরিষেবা পুরস্কার পেয়েছিলেন।
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ
অনুষদ পৃষ্ঠা
সামাজিক মনোবিজ্ঞান নেটওয়ার্কে প্রোফাইল
বিষয়শ্রেণী:জন্মের বছর অনুপস্থিত (জীবিত ব্যক্তি)
বিষয়শ্রেণী:জীবিত ব্যক্তি
বিষয়শ্রেণী:নারী সমাজকর্মী
বিষয়শ্রেণী:নারী মনোচিকিৎসক | অনিতা বার্বি |
পশ্চিমা বিশ্বের দার্শনিক চিন্তাভাবনা এবং কাজকে পশ্চিমা দর্শন বলা হয়ে থাকে। ঐতিহাসিকভাবে, এই শব্দটি পশ্চিমা সংস্কৃতির দার্শনিক চিন্তাকে বোঝায়, প্রাক-সক্রেটিসের প্রাচীন গ্রীক দর্শন দিয়ে যার যাত্রা শুরু হয়েছিল। দর্শন শব্দটিই প্রাচীন গ্রীক থেকেই উদ্ভূত হয়েছিল "philosophía" (φιλοσοφία), মানে "জ্ঞানের ভালবাসা" (φιλεῖν phileîn, "ভালবাসা" and σοφία sophía, "জ্ঞান").
প্রাচীন
মূল নিবন্ধ: প্রাচীন গ্রিক দর্শন
প্রাচীন পাশ্চাত্য দর্শনের ক্ষেত্র আধুনিক দর্শনের শাখা অন্তর্ভুক্ত ছিল তবে এটিতে আরও অনেকগুলো বিষয় অন্তর্ভুক্ত ছিল যেমন গণিত এবং প্রাকৃতিক বিজ্ঞান যেমন পদার্থবিজ্ঞান, জ্যোতির্বিজ্ঞান এবং জীববিজ্ঞান (উদাহরণস্বরূপ, এরিস্টটল এই সমস্ত বিষয়ে লিখেছিলেন)।
প্রাক-সক্রেটিক্স
মূল নিবন্ধ: প্রাক-সক্রেতীয় দর্শনপ্রাক-সকরাটিক দার্শনিকগণ বিশ্বতত্ত্ব /সৃষ্টিতত্ত্ব বিষয়ে আগ্রহী ছিলেন; মহাবিশ্বের প্রকৃতি এবং উৎস তারা সন্ধান করে, পৌরাণিক উত্তরগুলি প্রত্যাখ্যান করে। তারা মূলত পৃথিবীর "মূল" নিয়ে আগ্রহী ছিলেন। প্রথম স্বীকৃত দার্শনিক, থ্যালস অফ মিলিটাস (জন্ম 6২২ খ্রিস্টপূর্বাব্দ ইওনিয়ায়) জলকে "মূল" হিসাবে চিহ্নিত করেছিলেন ("সমস্তই জল" বলে দাবি করেছিলেন)। এই উপসংহারটি আবিষ্কার করার জন্য তাঁর পর্যবেক্ষণ এবং যুক্তির ব্যবহারই তাঁকে প্রথম দার্শনিক হিসাবে স্থান দিয়েছে। থ্যালসের শিক্ষার্থী অ্যানাক্সিম্যান্ডার দাবি করেছিলেন যে "মূল"/আর্চটি অপিওরান, অসীম। থ্যালস এবং অ্যানাক্সিম্যান্ডারের উভয়ের অনুসরণ করে, মিলিটাসের অ্যানাক্সিমিনেস দাবি করেছে যে বায়ু সবচেয়ে উপযুক্ত প্রার্থী।
তথ্যসূত্র | পাশ্চাত্য দর্শনের ইতিহাস |
পুনর্নির্দেশ দাদুল্লাহ (পাকিস্তানি তালিবান) | দাদুল্লাহ (পাকিস্তানী তালিবান) |
উড়ুপি রামচন্দ্র রাও () (১০ মার্চ, ১৯৩২ – ২৪ জুলাই, ২০১৭) সংক্ষেপে ইউ. আর. রাও () ছিলেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ভারতীয় মহাকাশ বিজ্ঞানী এবং ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা তথা ইসরো’র চেয়ারম্যান।
তিনি আহমেদাবাদের ফিজিক্যাল রিসার্চ ল্যাবরেটরির এবং বেঙ্গালুরুর নেহেরু প্ল্যানেটরিয়ামের পরিচালন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং তিরুবনন্তপুরমের ইন্ডিয়ান ইন্সিটিউট ফর স্পেস সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির আচার্য ছিলেন। ১৯৭৬ খ্রিস্টাব্দে ও ২০১৭ খ্রিস্টাব্দে ভারত সরকার কর্তৃক যথাক্রমে পদ্মভূষণ ও পদ্মবিভূষণ সম্মান প্রাপ্ত ভারতীয় মহাকাশ বিজ্ঞানী বিদেশেও সম্মানিত হয়েছেন।২০১৩ খ্রিস্টাব্দের ১৯ শে মার্চ আমেরিকার ওয়াশিংটনে স্যাটেলাইট 'হল অফ ফেম'এ পেশাদার স্যাটেলাইটের আন্তর্জাতিক সংস্থা তাঁকে অভিনন্দিত করে ও সদস্য পদ প্রদান করে। একইভাবে ২০১৬ খ্রিস্টাব্দের ১৫ ই মে আন্তর্জাতিক অ্যাস্ট্রোনটিক্স ফেডারেশন (আইএএফ) তাঁকে আনুষ্ঠানিক সম্মাননা প্রদান করে। ভারতীয় হিসাবে তিনিই প্রথম এই সম্মান অর্জন করেন।
জন্ম ও প্রারম্ভিক জীবন
রামচন্দ্র রাও ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের উড়ুপি জেলার আদামারুতে জন্মগ্রহণ করেন । তাঁর পিতা ও মাতা ছিলেন লক্ষ্মীনারায়ণ আচার্য এবং কৃষ্ণভেণী আম্মা। তার প্রাথমিক শিক্ষা আদামারুতেই শুরু হয়। উড়ুপির খ্রিস্টান হাই স্কুল থেকে মাধ্যমিক স্তরের পড়াশোনা শেষ করেন। এরপর অনন্তপুরের গভর্নমেন্ট আর্ট অ্যান্ড সায়েন্স কলেজে পড়াশোনা পর ১৯৫২ খ্রিস্টাব্দে মাদ্রাজ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক হন। বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন ১৯৫৪ খ্রিস্টাব্দে। আহমেদাবাদের ফিজিক্যাল রিসার্চ ল্যাবরেটরিতে ডাঃ বিক্রম সারাভাইয়ের অধীনে গবেষণা করে ১৯৬০ খ্রিস্টাব্দে গুজরাত বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি লাভ করেন তিনি।
কর্মজীবন
রামচন্দ্র রাও মহাজাগতিক রশ্মি বিজ্ঞানী হিসাবে ডাঃ বিক্রম সারাভাইয়ের অধীনে ম্যাসাচুসেট্স ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে তথা এমআইটিতে কর্মজীবন শুরু করেন। এমআইটিতে অনুষদ সদস্য এবং ডালাসের টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক হিসাবে কাজ করার সময় তিনি বেশ কয়েকটি উন্নত এবং অন্বেষণ মহাকাশযানের প্রধান পরীক্ষক হিসাবে কাজ করেছিলেন। ১৯৬৬ খ্রিস্টাব্দে তিনি ভারতে ফিরে এসে আহমেদাবাদের ফিজিক্যাল রিসার্চ ল্যাবরেটরির অধ্যাপক হিসাবে যোগ দেন। জেট প্রোপালশন ল্যাবরেটরি গোষ্ঠীর সাথে যুক্ত হয়ে তিনিই প্রথম সৌর বায়ুর ধারাবাহিক প্রকৃতি এবং মেরিনার ২ টি পর্যবেক্ষণ ব্যবহার করে ভূ-চৌম্বকীয় প্রভাবের উপর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন।
ইসরোর চেয়ারম্যান হিসাবে অবদান
১৯৮৫ খ্রিস্টাব্দে স্পেস কমিশনের চেয়ারম্যান ও সচিব এবং ইসরোর চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেওয়ার পর অধ্যাপক ইউ.আর.রাও-নেতৃত্বে ভারতে রকেট প্রযুক্তির প্রভূত উন্নতি হয়। ফলস্বরূপ, ১৯৯৯ খ্রিস্টাব্দে এএসএলভি রকেটের সফল যাত্রা শুরু হয়। তাঁরই দায়িত্বে ৮৫০ কেজি ভরের পিএসএলভি কক্ষপথে উৎক্ষেপন সম্ভব হয়েছিল। অধ্যাপক রাও ১৯৯১ খ্রিস্টাব্দে জিএসএলভি'র ভূসমলয় উৎক্ষেপন এবং কায়োজেনিক প্রযুক্তিতে কাজের সূচনা করেছিলেন। ইনস্যাট সিরিজের কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপনের পরিকল্পনা তাঁর কার্যকালে গৃহীত হয় এবং ১৯৮০ খ্রিস্টাব্দ হতে ১৯৯০ খ্রিস্টাব্দে ইনস্যাটের উৎক্ষেপনের মাধ্যমে ভারতের প্রত্যন্ত অঞ্চলে যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলা সম্ভব হয়েছিল। এই দশকে সারা দেশে ল্যান্ড লাইন টেলিফোন সংযোগ বিস্তার সম্ভব হয়েছিল বিভিন্ন স্থানে উপগ্রহের মাধ্যমে সংযোগ প্রাপ্তির কারণে। মানুষ অতি সহজে অল্প সময়েই "এস টি ডি" তথা গ্রাহক ট্রাঙ্ক ডায়ালিং এ কথা আদান প্রদান করতে পারতেন। এই ব্যবস্থাটিই পরবর্তীতে তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে মূল ভূমিকা পালন করেছিল। তিনি এন্ট্রিক্স কর্পোরেশনের প্রথম চেয়ারম্যান ছিলেন। ভারতের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ আর্যভট্টর নেপথ্য নায়ক ছিলেন তিনি। প্রসঙ্গত সতীশ ধওয়ানের পর অধ্যাপক ইউ.আর.রাও দীর্ঘ দশ বৎসরের ( ১৯৮৪-১৯৯৪) কার্যকালে ইসরোর সমস্ত মিশনে কোনও না কোনও ভাবে যুক্ত থেকেছেন। দেশের মহাকাশ প্রযুক্তির উন্নয়ন তাঁর হাত ধরে। যেভাবে নানা প্রকৃতি সংক্রান্ত বিষয়ে কৃত্রিম উপগ্রহের ব্যবহার করা হয়, তাতেও বিরাট অবদান রয়েছে তাঁর।
পুরস্কার ও সম্মাননা
দেশে বিদেশে বহু পুরস্কার ও সম্মাননা পেয়েছেন তিনি। আন্তর্জাতিক পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন । তাঁর মেধাকে সম্মান জানিয়েছে বিশ্বের প্রায় ২৫ টি নামীদামি বিশ্ববিদ্যালয়।
জাতীয় পুরস্কার-
১৯৭৫ - কর্ণাটক রাজ্যেৎসব পুরস্কার
১৯৭৫ - হরি ওম বিক্রম সারাভাই পুরস্কার
১৯৭৫ - বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে শান্তি স্বরূপ ভটনাগর পুরস্কার
১৯৭৬ পদ্মভূষণ
১৯৮০ জাতীয় নকসা পুরস্কার
১৯৮০ ভাসভিক গবেষণা পুরস্কার বৈদ্যুতিন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে
১৯৮৩ কর্ণাটক রাজ্যেৎসব পুরস্কার
১৯৮৩ পি সি মহলানবীশ পদক
১৯৯৩ ওম প্রকাশ ভাসিন পুরস্কার
১৯৯৩ মেঘনাদ সাহা পদক
১৯৯৪ পি সি চন্দ্র পুরস্কার
১৯৯৪ ইলেকট্রনিক্স ম্যান অফ দ্য ইয়ার
১৯৯৫ জাকির হুসেন স্মৃতি পুরস্কার
১৯৯৫ জওহরলাল নেহরু পুরস্কার
১৯৯৬ এস কে মিত্র জন্ম শতবার্ষিকী স্বর্ণ পদক
১৯৯৭ যুধিভর ফাউন্ডেশন পুরস্কার
১৯৯৭ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর পুরস্কার বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় প্রদত্ত
১৯৯৯ গুজার মাল মোদি পুরস্কার
২০০১ নাদোজা পুরস্কার হাম্পির কন্নড় বিশ্ববিদ্যালয় প্রদত্ত
২০০১ লাইফ-টাইম কন্ট্রিবিউশন অ্যাওয়ার্ড আই এনএই প্রদত্ত
২০০২ স্যার এম বিশ্বেশ্বর স্মৃতি পুরস্কার
২০০৩ প্রেস ব্যুরো অফ ইন্ডিয়ার পুরস্কার, বিশ্ব ভারতী ফাউন্ডেশন, হায়দ্রাবাদ প্রদত্ত
২০০৪ স্টার অফ ইন্ডিয়া পুরস্কার
২০০৪ বিশেষ পুরস্কার,২০০৪
কর্ণাটক মিডিয়া একাডেমি প্রদত্ত
২০০৫ ভারতরত্ন রাজীব গান্ধী আউটস্টান্ডিং লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড
২০০৫ লাইফ টাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা
২০০৭ বিশিষ্ট বিজ্ঞানী স্বর্ণ পদক কর্ণাটক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি একাডেমি প্রদত্ত
২০০৭ বিশ্বমানব পুরস্কার বিশ্বমানব সংস্থা প্রদত্ত
২০০৭ এ ভি রামা রাও টেকনোলজি পুরস্কার
২০০৮ জওহরলাল নেহরু জন্মশতবার্ষিকী পুরস্কার ভারতীয় বিজ্ঞান কংগ্রেস সংস্থা প্রদত্ত
২০১৭ পদ্মবিভূষণ
আন্তর্জাতিক পুরষ্কার-
১৯৭৩ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাসার গ্রুপ অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড
১৯৭৫ সোভিয়েত রাশিয়ার একাডেমি অফ সায়েন্সেস-এর পদক
১৯৯১ সোভিয়েত রাশিয়ার ইউরি গাগারিন পদক
১৯৯২ আন্তর্জাতিক সহযোগিতার উপর অ্যালান ডি এমিল পুরষ্কার
১৯৯৪ ফ্র্যাঙ্ক জে ম্যালিনা পুরষ্কার (আন্তর্জাতিক মহাকাশচারী ফেডারেশন)
১৯৯৬ 'সিওএসপিএআর' এর বিক্রম সারাভাই পদক
১৯৯৭ আন্তর্জাতিক মহাকাশ বিজ্ঞান একাডেমি প্রদত্ত 'আউটস্টান্ডিং বুক অ্যাওয়ার্ড' - অধ্যাপক ইউ.আর.রাও-এর " স্পেস টেকনোলজি ফর সাসটেনেবল ডেভেলপমেন্ট" বইটির জন্য
২০০০ 'আইএসপিআরএস' প্রদত্ত 'এডুয়ার্ড দোয়েলজাল অ্যাওয়ার্ড'
২০০৪ স্পেস নিউজ ম্যাগাজিন তাঁকে ১৯৮৯ খ্রিস্টাব্দ হতে যে শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিত্ব বিশ্বে নাগরিক, বাণিজ্য ও সামরিক ক্ষেত্রে যথেষ্ট অবদান রেখেছেন তাঁদের দশজনের অন্যতম আখ্যা প্রদান
২০০৫ আন্তর্জাতিক মহাকাশ বিজ্ঞান একাডেমির সর্বোচ্চ পুরষ্কার - 'থিওডোর ভন কারমন অ্যাওয়ার্ড'
২০১৩ 'সোসাইটি অব স্যাটেলাইট প্রফেশনালস ইন্টারন্যাশনাল' কর্তৃক "হল অফ ফেম" এ অন্তর্ভুক্তি
২০১৬ আন্তর্জাতিক মহাকাশচারী ফেডারেশন কর্তৃক "হল অফ ফেম" এ অন্তর্ভুক্তি।
অধ্যাপক ইউ.আর.রাও ইউরোপের প্রাচীনতম বিশ্ববিদ্যালয় বোলোগনা বিশ্ববিদ্যালয় সহ দেশ-বিদেশের ২৫ টিরও বেশি বিশ্ববিদ্যালয় সাম্মানিক ডি.এসসি ডিগ্রি লাভ করেন।
১৯৭৬ মহীশূর
১৯৭৬ রাহুরী
১৯৮১ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়
১৯৮৪ ম্যাঙ্গালোর
১৯৯২ বোলোগোনা বিশ্ববিদ্যালয় (ইতালি)১৯৯২ বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়
১৯৯২ উদয়পুর
১৯৯৩ তিরুপতি (এসভি)
১৯৯৪ হায়দরাবাদ (জেএন)১৯৯৪ মাদ্রাজ (আন্না বিশ্ববিদ্যালয়)
১৯৯৪ রুরকি বিশ্ববিদ্যালয়
১৯৯৪ পাঞ্জাবি বিশ্ববিদ্যালয়, পতিয়ালা
১৯৯৭ শ্রী শাহু জি মহারাজ বিশ্ববিদ্যালয়, কানপুর
১৯৯৯ ইন্ডিয়ান স্কুল অফ মাইনস, ধনবাদ
২০০১ ডি লিট (সাম্মানিক), কন্নড় বিশ্ববিদ্যালয়, হাম্পি
২০০২ চৌধুরী চরণ সিংহ বিশ্ববিদ্যালয়, মীরাট
২০০৫ ইউপি কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয়, লখনউ
২০০৬ বিশ্বেশ্বরাইয়া কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয়, বেলগাঁও
২০০ ভারতীয় প্রযুক্তি ইনস্টিটিউট - দিল্লি
শ্রদ্ধার্ঘ্য
বিশ্ববন্দিত মহাকাশ বিজ্ঞানীর ৮৯ তম জন্মবার্ষিকী স্মরণে ২০২১ খ্রিস্টাব্দের ১০ ই মার্চ, গুগল ডুডল তাঁকে বিশেষ সম্মান জানিয়েছে।
ফেলোশিপ / সদস্যপদ
ভারতীয় বিজ্ঞান একাডেমীর ফেলো
ভারতীয় জাতীয় বিজ্ঞান একাডেমীর ফেলো
জাতীয় বিজ্ঞান একাডেমির ফেলো
তৃতীয় বিশ্ব বিজ্ঞান একাডেমির ফেলো
আন্তর্জাতিক মহাকাশচারী একাডেমির ফেলোভারতীয় জাতীয় প্রকৌশল একাডেমির ফেলো
ভারতের অ্যাস্ট্রোনটিকাল সোসাইটির ফেলো
অ্যারোনটিকাল সোসাইটির ফেলো
ইলেকট্রনিক্স এবং টেলিযোগাযোগ প্রকৌশলীদের বিশিষ্ট ফেলো ইনস্টিটিউশন
মাননীয় ভারতীয় জাতীয় কার্টোগ্রাফিক সমিতির ফেলো
ভারতের সম্প্রচার ও প্রকৌশল সমিতির ফেলো
সম্মানীয় ফেলো এ্যারো মেডিকেল সোসাইটি অফ ইন্ডিয়া
ফিজিক্যাল রিসার্চ ল্যাবরেটরি, আহমেদাবাদের বিশিষ্ট ফেলো
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়ার্ল্ড একাডেমি অফ আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেসের ফেলো।
আন্তর্জাতিক অ্যারোনটিকাল ফেডারেশনের ফেলো (আইএএফ)
আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পেশাদার ক্রিয়াকলাপ
১৯৮৬-১৯৯২ ভাইস প্রেসিডেন্ট, আন্তর্জাতিক মহাকাশচারী ফেডারেশন
১৯৮৮ প্রেসিডেন্ট, আইএএফ-এর উন্নয়নশীল দেশসমূহের সমন্বয়কারী কমিটি (সিএলডিইএন)
১৯৯৭-২০০০ চেয়ারম্যান, ইউএন-সিওপিইউওএস (ইউনাইটেড নেশনস - মহাশূন্যে শান্তিপূর্ণ ব্যবহার সম্পর্কিত বিষয়ক কমিটি)
১৯৯৯ প্রেসিডেন্ট, ইউএনআইএসপিএসিই-(৩য়) সম্মেলন
২০০৭ চেয়ারম্যান, ৩০-তম আন্তর্জাতিক অ্যান্টার্কটিক চুক্তি পরামর্শমূলক কমিটির সভা
অতিরিক্ত দায়িত্ব
চেয়ারম্যান কর্ণাটক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি একাডেমি,
চেয়ারম্যান, বিজ্ঞান শিক্ষা-JNP, চ্যান্সেলর বাবাসাহেব ভীমরাও আম্বেদকর বিশ্ববিদ্যালয়, লক্ষ্ণৌ,
সদস্য পরিচালনা সেন্ট্রাল বোর্ড, ভারতীয় রিসার্ভ ব্যাঙ্কের অতিরিক্ত পরিচালক, ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক নোট মুদ্রণ প্রাইভেট লিমিটেড বেঙ্গালুরু এসোসিয়েশন , বেঙ্গালুরু, পুনে ইন্ডিয়ান ট্রপিকাল মেটেরোলজি ইনস্টিটিউটের গভর্নিং কাউন্সিলের চেয়ারম্যান।
রাও ইন্ডিয়ান একাডেমি অফ সায়েন্সেস, ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল সায়েন্স একাডেমি, ন্যাশনাল একাডেমি অফ সায়েন্সেস, ইনস্টিটিউট অফ ইলেক্ট্রনিক্স অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ার্স, ইন্টারন্যাশনাল অ্যাস্ট্রোনটিক্স এবং তৃতীয় ওয়ার্ল্ড একাডেমি অফ সায়েন্সেসের মতো অনেক একাডেমির একজন নির্বাচিত ফেলো ছিলেন। রাওকে ওয়ার্ল্ড একাডেমি অফ আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেসের ফেলোশিপ দেওয়া হয়েছিল। তিনি 1995-96 সালে ভারতীয় বিজ্ঞান কংগ্রেস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সভাপতি ছিলেন। রাও ১৯৮ 1984 থেকে 1992 পর্যন্ত আন্তর্জাতিক মহাকাশচারী ফেডারেশনের (আইএএফ) ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন এবং ১৯৮৬ সাল থেকে উন্নয়নশীল দেশগুলির সাথে যোগাযোগের কমিটির (সিআইএলওডিএন) চেয়ারম্যান ছিলেন। রাও জাতিসংঘের চেয়ারম্যান হিসাবে নির্বাচিত হয়েছিলেন - কমিটি অন পলফুল ইউজ ১৯৯৭ সালের জুন মাসে আউটার স্পেসের (ইউএন-কপুওস) এবং ইউএনআইএসপিএইসি -২ সম্মেলনের চেয়ারম্যানও।২০০ April সালের এপ্রিল মাসে তিনি দিল্লিতে ৩০ তম আন্তর্জাতিক অ্যান্টার্কটিক চুক্তি পরামর্শমূলক কমিটির সভাপতির পদে নির্বাচিত হয়েছিলেন।
তিনি গোয়ার ন্যাশনাল সেন্টার ফর অ্যান্টার্কটিক অ্যান্ড ওশান রিসার্চ -এর কো-চেয়ারম্যান ছিলেন । তিনি প্রচার ভারতীর প্রথম চেয়ারম্যান ছিলেন । রাও ২০০ Rao সালে স্পেস ফিজিক্স কেন্দ্রের পরিচালনা কমিটির চতুর্থ রাষ্ট্রপতি ছিলেন। রাষ্ট্রপতি থাকাকালীন তিনি এর নামটিকে জাতীয় গুরুত্বের স্বীকৃতি স্বরূপ ভারতীয় স্পেস ফিজিক্স সেন্টারের নাম পরিবর্তন করে রেখেছিলেন।
রচিত বই
অধ্যাপক ইউ.আর.রাও মহাজাগতিক রশ্মি, মহাকাশে প্রযুক্তি বিষয়ক প্রায় ৩৫০০টিরও বেশি প্রবন্ধ বা রচনা প্রকাশ করেছেন বিশ্বের বিভিন্ন জার্নালে। তাঁর প্রকাশিত উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলি হল -
"পার্সপেক্টিভ ইন কমিউনিকেশন" - ইউ. আর. রাও, কে. কস্তুরিরঙ্গন, কে. আর. শ্রীধর মুর্তি এবং সুরেন্দ্র পাল সম্পাদিত। ওয়ার্ল্ড সায়েন্টিফিক (১৯৮৭)।
"ইউআর রাও, "স্পেস অ্যান্ড এজেন্ডা-২১ - কেয়ারিং প্ল্যানেট আর্থ", প্রিজম বুকস প্রা.লিমিটেড, বেঙ্গালুরু (১৯৯৫)
ইউআর রাও - " স্পেস টেকনোলজি ফর সাসটেনেবল ডেভেলপমেন্ট" , টাটা ম্যাকগ্রা-হিল পাবলিশিং নয়াদিল্লি (১৯৯৬)
জীবনাবসান
অধ্যাপক ইউ.আর.রাও বার্ধক্য জনিত রোগে ভুগছিলেন। ২০১৭ খ্রিস্টাব্দের ২৪ জুলাই ৮৫ বৎসর বয়সে প্রয়াত হন।
তথ্যসূত্র
বিষয়শ্রেণী:১৯৩২-এ জন্ম
বিষয়শ্রেণী:২০১৭-এ মৃত্যু
বিষয়শ্রেণী:ভারতীয় বিজ্ঞানী
বিষয়শ্রেণী:পদার্থবিজ্ঞানী | উড়ুপি রামচন্দ্র রাও |
মাড়িবক্কম দক্ষিণ ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের চেন্নাই জেলার একটি আবাসিক অঞ্চল৷ এটি মূলত দক্ষিণ-পূর্ব চেন্নাইয়ের একটি লোকালয়৷ অতি সম্প্রতি ২০১১ খ্রিস্টাব্দের সেপ্টেম্বর মাসে এটিকে চেন্নাই জেলা ও বৃৃহত্তর চেন্নাই পুরসভার অন্তর্ভুক্ত করা হয়৷
জনতত্ত্ব
২০০১ খ্রিস্টাব্দে ভারতের জনগণনা অনুযায়ী মাড়িবক্কম জনগণনা নগরের জনসংখ্যা ছিলো ১৪,৯৪০ জন, যার মধ্যে পুরুষ ৭,৬২১ ও নারী সংখ্যা ৭,৩১৯ জন তথা প্রতি হাজার পুরুষে নারী ৯৬০ জন৷ ছয় বৎসর অনূর্ধ্ব শিশু জনসংখ্যার ৮.৫৭ শতাংশ তথা ১,২৮০ জন, যেখানে শিশুপুত্র ৬১৫ ও শিশুকন্যা ৬৬৫৷ মোট সাক্ষরতারহার ৯৫.৯৪ শতাংশ, যেখানে পুরুষ সাক্ষরতার হার ৯৮.৩৪ শতাংশ ও নারী সাক্ষরতার হার ৯৩.৪০ শতাংশ৷
অবস্থান
মাড়িবক্কমের উত্তর দিকে রয়েছে আদমবক্কম ও গিণ্ডি, উত্তর-পূর্ব দিকে বেলাচেরি ও আদিয়ার, পূর্ব দিকে পল্লীকরনাই, দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে তাম্বরম, দক্ষিণ দিকে মেটবক্কম, পশ্চিম দিকে নঙ্গানলুর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে রয়েছে সেন্ট থমাস মাউন্ট৷
তথ্যসূত্র
বিষয়শ্রেণী:তামিলনাড়ুর শহর
বিষয়শ্রেণী:চেন্নাইয়ের শহরতলি | মাড়িবক্কম |
জাতীয় স্টেডিয়াম (, ) হচ্ছে পাকিস্তানের করাচীতে অবস্থিত একটি ক্রিকেট স্টেডিয়াম যা পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড এর মালিকানাধীন। করাচী কিংস সহ করাচির অন্যান্য ঘরোয়া দলগুলোর জন্য এটি হচ্ছে তাদের ঘরোয়া মাঠ। ৪০,০০০ আসনক্ষমতা সম্পন্ন এই স্টেডিয়ামটিই হচ্ছে ধারণক্ষমতার দিক দিয়ে পাকিস্তানের সর্ববৃহৎ স্টেডিয়াম।
এই মাঠে পাকিস্তান ক্রিকেট দলের টেস্ট ক্রিকেটে বেশ উল্লেখযোগ্য রেকর্ড রয়েছে, যাতে ৪০টি টেস্ট খেলে মাত্র দুটিতে পরাজিত হয়। (ইংল্যান্ডের সাথে ডিসেম্বর ২০০০-০১ মৌসুমে, ও দক্ষিণ আফ্রিকার সাথে, অক্টোবর ২০০৭-০৮ মৌসুমে)। স্টেডিয়ামটি অনেকগুলো স্মরণীয় স্মৃতির স্বাক্ষী, যেমন ১৯৮৭ ক্রিকেট বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার বিপরীতে ভিভ রিচার্ডসের ১৮১ রান, মোহাম্মদ ইউসুফের রেকর্ড সংখ্যাক ৯ সেঞ্চুরি, যার ফলে এক পঞ্জিকা বর্ষে সর্বাধিক রান সংগ্রহের ভিভ রিচার্ডসের রেকর্ডটি ভেঙ্গে যায় ও কামরান আকমলের ২০০৬ সালে ভারতের বিপরীতে করা সেই স্মরণীয় সেঞ্চুরি, যখন ৩৯ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে পাকিস্তান প্রায় ধ্বসে পড়েছিল, সেখান থেকে দলকে জয় দেখিয়েছিল।
ইতিহাস
স্টেডিয়ামটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৫৫ সালের এপ্রিলে, যখন করাচি ছিল পাকিস্তানের রাজধানী, কিন্তু সেখানে স্বল্প-সীমিত আসন বিশিষ্ট কেবল একটি ক্রিকেট গ্রাউন্ড ছিল করাচি জীমখানা। একটি নতুন স্টেডিয়াম তৈরীর পরিকল্পনা চলছিল, যার জন্য করাচি কমিশনারের মাধ্যমে পাকিস্তান পাবলিক ওয়ার্ক ডিপার্টমেন্ট ১৭৪.৫ একর জমি বরাদ্দ নেয়। পরে পূর্ব পাকিস্তানের একজন সিভিল ইঞ্জিনিয়ার কফিলুদ্দিন আহমেদের পরামর্শে করাচিতে স্টেডিয়ামটি নির্মান করা হয়। ফলে করাচিতে ৫ম এবং সারা পাকিস্তানে ১১তম প্রথম-শ্রেণির ক্রিকেট মাঠ সংযুক্ত হয়।
এনএসকেতে উদ্বোধনী প্রথম-শ্রেণীর ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয় পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে, ২০-২৪ এপ্রিল ১৯৯৫, পরে যা পাকিস্তান ক্রিকেটের দুর্গে পরিণত হয়। প্রথম টেস্ট ম্যাচ থেকে ডিসেম্বর ২০০০ পর্যন্ত মোট ৩৪টি টেস্ট ম্যাচে পাকিস্তান ১৭টিতে জয়ী হয়, কোন পরাজয় নেই। এই মাঠে একমাত্র পরাজয় আসে ২০০০-০১ এ ইংল্যান্ড এর সাথে।
উক্ত স্টেডিয়ামে প্রথম ওডিআই ম্যাচটি হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ এর সাথে ২১ নভেম্বর ১৯৮০ তে এবং খেলাটি শেষ বল পর্যন্ত মাঠে গড়ায়, যেখানে গর্ডন গ্রিনিজ ইমরান খানের বলে ৩ রানের জন্য উপরে তুলে কভার বাউন্ডারীতে বল নিয়ে যায়। ফলে এ স্টেডিয়ামটি সাধারণ সীমিত ওভারের খেলায় খুব কম সফলতা পেয়েছে। এমনকি শুরু থেকে ১৯৯৬ পর্যন্ত পাচঁ বছরে পাকিস্তান একটিও ম্যাচ জেতে নি। এই মাঠেই ১৯৯৬-৯৭ ক্রিকেট বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল খেলাগুলো অনুষ্ঠিত হয়।
শচীন তেন্ডুলকর ও ওয়াকার ইউনুস তাদের প্রথম টেস্ট ম্যাচটি এই মাঠেই খেলেছেন।
২০১৯ এর সেপ্টেম্বরে, পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) ২০১৯-২০ কায়েদ-ই-আজম ট্রফি প্রতিযোগিতার মাঠগুলোর একটি হিসাবে ঘোষণা করে।
রেকর্ড
টেস্ট
সর্বাধিক দলীয় সংগ্রহ:৭৬৫/৬ঘো - পাকিস্তান, প্রতিপক্ষ - শ্রীলঙ্কা (২০০৯)।
সর্বনিম্ন দলীয় সংগ্রহ: ৮০ - অস্ট্রেলিয়া, প্রতিপক্ষ - পাকিস্তান (১৯৫৬)
সর্বাধিক রান তাড়া করে জয়: ৩১৫/৯ - পাকিস্তান, প্রতিপক্ষ - অস্ট্রেলিয়া (১৯৯৪-৯৫)
সর্বাধিক ব্যক্তিগত স্কোর: ৩১৩ - ইউনুস খান, প্রতিপক্ষ - শ্রীলঙ্কা (২০০৯)
সর্বোচ্চ রানের জুটি: ৪৩৭ - মাহেলা জয়াবর্ধনে ও থিলান সামারাবীরা প্রতিপক্ষ পাকিস্তান (২০০৯)
একদিনের আন্তর্জাতিক
সর্বাধিক দলীয় সংগ্রহ: ৩৭৪/৪ - ভারত, প্রতিপক্ষ হংকং (২৫ জুন ২০০৮ - এশিয়া কাপ)
সর্বাধিক রান তাড়া (জয় বা পরাজয়) ২৮৮/৫ - পাকিস্তান, প্রতিপক্ষ ভারত, (১৩ মার্চ ২০০৪)
সর্বনিম্ন দলীয় সংগ্রহ: ১১৫ - বাংলাদেশ, প্রতিপক্ষ পাকিস্তান, (৪ জুলাই ২০০৮)
সর্বাধিক সফল রান তাড়া: ৩১০/৪ - ভারত, প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা, (৩ জুলাই ২০০৮)
সর্বাধিক ব্যক্তিগত স্কোর: ১৮১ - ভিভ রিচার্ডস, প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা, (১৩ অক্টোবর ১৯৮৭)
সর্বোচ্চ রানের জুটি: ২০১ - সনাথ জয়াসুরিয়া ও কুমার সাঙ্গাকারা, প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ, (৩০ জুন ২০০৮)
টি২০ আন্তর্জাতিক
সর্বাধিক দলীয় সংগ্রহ: ২০৫/৩ - পাকিস্তান প্রতিপক্ষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ, (২ এপ্রিল ২০১৮)
সর্বনিম্ন দলীয় সংগ্রহ: ৬০/৯ - ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রতিপক্ষ পাকিস্তান, (১ এপ্রিল ২০১৮)
সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত স্কোর: ৯৭* - বাবর আজম প্রতিপক্ষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ, (২ এপ্রিল ২০১৮)
সর্বোচ্চ রানের জুটি: ১১৯ - বাবর আজম ও হোসাইন তালাত প্রতিপক্ষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ, (২ এপ্রিল ২০১৮)
ক্রিকেট বিশ্বকাপ
১৯৯৬ ক্রিকেট বিশ্বকাপ
২০১৮ ক্রিকেট ফেরা
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)'র সাবেক চেয়ারম্যান নাজাম শেঠি ২০১৭ সালের এক ঘোষণায় বলেন যে, ২০১৮ পাকিস্তান সুপার লীগ এর ফাইনাল খেলাটি এ মাঠে অনুষ্ঠিত হবে ২০১৮ এর মার্চে।
ফাইনালের জন্য মাঠের অবস্থার উন্নয়ন করা হয়েছে। ঐতিহাসিক এ ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয় ইসলামাবাদ ইউনাইটেড ও পেশাওয়ার জলমি এর মধ্যে। যার ফলে এ মাঠে আন্তর্জাতিক তারকাদের দেখা মিলে দীর্ঘ নয় বছরের ব্যবধানে। খেলাটি এক-পেশে আকারে শেষ হয়, এবং বরাবরের মতো ইসলামাবাদ ইউনাইটেডকে বিজয়ের শিরোপা তুলে দেয়া হয়। ২০০৯ এর পর এটিই ছিল উক্ত মাঠে আয়োজিত প্রথম বড় কোন খেলার আসর এবং জনস্রোতের উপস্থিতিতে এটি হয়ে উঠে একটি স্মরণীয় খেলা। খেলাটিকে সফলভাবে সমাপ্ত করতে ও এর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মাঠের ভিতরে ও চারপাশে অসংখ্য নিরাপত্তা কর্মীকে কাজে লাগানো হয়, যাদের অক্লান্ত চেষ্টায় খেলাটি সফলভাবে সম্পন্ন হয়।
শ্রীলঙ্কা বনাম পাকিস্তান
২০১৯-এর মে মাসে, সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) সভায় পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) পাকিস্তানে দুটি টেস্ট ম্যাচ খেলার জন্য শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট (এসএলসি) কে অনুরোধ করে। ২০১৯-এর জুলাইয়ে, এসএলসি পাকিস্তানের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করতে নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের পাঠায়, এবং তাদের রিপোর্ট বলে যে, দেশটিতে একটি টেস্ট ম্যাচ খেলা যেতে পারে। পরবর্তীতে করাচী ও লাহোরের নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৯ এর আগস্টে শ্রীলঙ্কা তাদের সিদ্ধান্ত প্রকাশ করে। নিরাপত্তা ডেলিগেশন দল "খুবই সম্মতিসূচক প্রতিবেদন" প্রদান করে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দল পাকিস্তানে টেস্ট ম্যাচ খেলতে পারবে এমন পরামর্শ প্রদান করে। ২০১৯ এর ২২ আগস্ট, শ্রীলঙ্কা ক্রীড়া মন্ত্রী নিশ্চিত করে যে, তারা অক্টোবরে পাকিস্তানে ৩টি একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলবে, কিন্তু টেস্ট ম্যাচগুলোকে বাতিল করা হয়। ২৩ আগস্ট পিসিবি, ওডিআই ও টি২০আই সিরিজের সূচী প্রকাশ করে, শ্রীলঙ্কা ৩ ম্যাচের ওডিআই সিরিজ খেলবে জাতীয় স্টেডিয়ামে ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে। ২১ জানুয়ারি ২০০৯ এর পর এটিই হবে এ মাঠে অনুষ্ঠিত ১ম ওডিআই, কিন্তু প্রথম ওডিআইটি ভারী বৃষ্টির কারণে বাতিল করা হয় এবং এ মাঠে এটিই প্রথম কোন ওডিআই বাতিল হওয়ার দৃষ্টান্ত। ফলে, পিসিবি ২য় ওডিআইকে একদিন পিছিয়ে ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ এ নিয়ে যায়।
অক্টোবর ২০১৯, সংযুক্ত আরব আমিরাতের পরিবর্তে দুটি টেস্ট ম্যাচের সিরিজ পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডি ও করাচীতে আয়োজন করার প্রস্তাব দেয়। জবাবে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট জানায়, পাকিস্তানে টেস্ট ম্যাচ এগিয়ে নিয়ে যেতে তারা আগ্রহী। ২০১৯ এর নভেম্বরে, পিসিবি টেস্ট সিরিজের তারিখ ও স্থান নিশ্চিত করে। টেস্ট সিরিজটি খেলতে সম্মত হওয়ার ফলে, পিসিবি আন্তর্জাতিক সূচীর আয়োজন করতে গিয়ে ২০১৯-২০ কায়েদ-ই-আজম ট্রফির ফাইনালকে পিছিয়ে দেয়। ২য় টেস্ট খেলাটি অনুষ্ঠিত হয় ১৯ ডিসেম্বর, জাতীয় স্টেডিয়াম, করাচিতে।
আরও দেখুন
টেস্ট ক্রিকেট মাঠের তালিকা
ধারণক্ষমতা অনুযায়ী স্টেডিয়ামগুলির তালিকা
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ
Cricinfo.com ground profile
Ground Profile – PCB.com
List of all Test matches played at National Stadium, Karachi
List of all ODI matches played at National Stadium, Karachi
Large re-play screen being installed at National Stadium Karachi – The News
বিষয়শ্রেণী:টেস্ট ক্রিকেট মাঠ
Cricket
বিষয়শ্রেণী:পাকিস্তানে ক্রীড়া
পাকিস্তান
বিষয়শ্রেণী:করাচির ভবন ও কাঠামো
বিষয়শ্রেণী:১৯৫৫-এ পাকিস্তানে প্রতিষ্ঠিত
মাঠ
মাঠ | জাতীয় স্টেডিয়াম, করাচি |
{{Infobox cultivar
| name = বেগুনফুলি
| image = Guntur Mango.jpg
| image_caption = ভারতের অন্ধ্র প্রদেশের গুন্টুর সিটিতে সাইকেল চালিয়ে বেগুনফুলি আম বিক্রি হচ্ছে।
| species = Mangifera indica
| cultivar = 'বেগুনফুলি'
| origin = বাঙ্গানাপল্লী, অন্ধ্র প্রদেশ, ভারত
}}
বেগুনফুলি আম (বেনিশান নামেও পরিচিত) হলো একটি আমের জাত যা ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ রাজ্যের কার্নুল জেলার বনগানপলে উৎপাদিত হয়। এটি একাই রাজ্যের মোট আমের আবাদযোগ্য জমির ৭০ শতাংশ দখল করে এবং বেগুনফুলির কৃষকরা প্রথম এর প্রবর্তন করেছিলেন। এটি ভৌগোলিক সূচক রেজিস্ট্রি দ্বারা উদ্যানতাত্ত্বিক পণ্যগুলির আওতায় ৩রা মে ২০১৭ এ অন্ধ্র প্রদেশ থেকে ভৌগলিক সূচকগুলোর অন্যতম হিসাবে নিবন্ধিত হয়েছিল। এটি ভারত ও পাকিস্তানের অন্যান্য অঞ্চলেও জন্মে। ফলটিকে ওভাল বা ডিম্বাকৃতির হিসাবে বর্ণনা করা হয়। এটি লম্বায় ১৪ সেমি, হলুদ মাংস এবং একটি পাতলা, মসৃণ হলুদ ত্বকবিশিষ্ট। এটি দৃঢ় মাংসযুক্ত টেক্সচারের এবং মিষ্টি স্বাদের এবং এতে ফাইবারের অভাব রয়েছে। একে অন্ধ্র প্রদেশে সর্বাধিক চাওয়া হয়। এটি একটি মধ্য-মৌসুমের জাত যা কৌটাজাতকরণের জন্য ভাল। এটি ভিটামিন এ ও সি- তে সমৃদ্ধ। এটিকে আমের রাজাও বলা হয়।
ব্যুৎপত্তি
অন্ধ্র প্রদেশের বনগানপল্লী গ্রাম ও আশেপাশে প্রচুর পরিমাণে চাষ হওয়ায় এটি বঙ্গপল্লি আম নামেও পরিচিত। বেনিশান, ছাপ্পাটাই, সাফেদা(দিল্লি, ইউপি ও অন্যান্য উত্তরাঞ্চলের যুক্তরাষ্ট্র), বাদাম আম (রাজস্থান এমপি, মালওয়া, মেওয়ার ও মধ্য ভারত অন্যান্য এলাকায়) হলো এর'' কিছু অন্যান্য নাম। পানিশের জমিদার এবং বঙ্গপাল নবাবের নামানুসারে এর 'বেনিশান' নামকরণ করা হয়েছে।
চাষাবাদ
প্রধানত বেগুনফুলিতে, এর চাষ করা হয়। এছাড়াও কুরনুল জেলার পানিয়াম এবং নাদায়াললেও এর চাষ হয় । এগুলি ছাড়াও উপকূলীয় এবং রায়লসিমা অঞ্চলগুলিও চাষ করে। তেলেঙ্গানা রাজ্যের খম্ম্ম, মহাবুবনগর, রাঙ্গারডি, মেডাক এবং তেলঙ্গানার আদিলবাদ জেলায় কয়েকটি জেলায়ও এর চাষ হয়েছে।
আরও দেখুন
কমলাপুরের লাল কলা
বেঙ্গালুরু নীল
নানজানগুদ কলা
কুরগ কমলা
তথ্যসূত্র | বেগুনফুলি আম |
জুলিয়েট মার্টিন বিংলে এমবিই (১৯২৫-২০০৫ ) ছিলেন একজন ইংরেজ সমাজকর্মী। তিনি চার বছর যাবৎ মাইন্ড-এর সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তিনি ন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন ফর কোলাইটিস অ্যান্ড ক্রোন্স ডিজিজের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন এবং কিছুদিনের জন্য এর সহ-সভাপতির দায়িত্বও পালন করেছিলেন।
জীবনী
জুলিয়েট মার্টিন ভিক লন্ডনের হারলে স্ট্রিটে জন্মগ্রহণ করেছিলেন; তাঁর বাবা সার্জন রেগিনাল্ড ভিক। তিনি লন্ডনের কিং আলফ্রেড স্কুলে পড়াশোনা করেছিলেন এবং লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিক্স থেকে সামাজিক প্রশাসনে ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন।
তিনি ১৯৪৮ সালে আলেক বিংলির সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন, যিনি ১৯৫৯ সালে নাইট উপাধি পেয়েছিলেন, যার জন্য তাঁকে লেডি বিংলি বলা হয়।
স্ট্রোকজনিত কারণে ২০০৫ সালের ১৬ জানুয়ারিতে তিনি একটি হাসপাতালে মারা গিয়েছিলেন।
সামাজিক অবদান
বিংলে ১৯৪৫ সালে সেন্ট বার্থলোমিউ হাসপাতালে চিকিৎসামূলক সমাজকর্মী হিসাবে কাজ শুরু করেছিলেন, কিন্তু ১৯৪৮ সালে বিয়ের পরে তিনি এই কাজটি ছেড়ে দিয়েছিলেন এবং ২৪ বছর পরে বিধবা হওয়ার পর পুনরায় তা শুরু করেছিলেন।
স্বামীর সাথে মাল্টায় থাকাকালীন তিনি সেখানে সমাজকল্যাণ ব্যবস্থার উন্নতি করার কাজে জড়িত হয়েছিলেন। ১৯৬১ সালে যখন তাঁর স্বামী পোর্টসমাথের কমান্ডার ইন চিফ পদে নিযুক্ত হয়েছিলেন তখন তিনি জাহাজী পরিবার কল্যাণ পরিষেবাদি উন্নত করার জন্য কাজ করেছিলেন। অবসর গ্রহণের পরে তিনি জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য সংস্থার (বর্তমানে মাইন্ড) সাথে যুক্ত হয়েছিলেন এবং ১৯৮৩ সাল পর্যন্ত এর সভাপতি ছিলেন।
১৯৭২ সালে তাঁর স্বামীর হঠাৎ মৃত্যুর পরে তিনি লন্ডনের সেন্ট মার্কস হাসপাতালে একটি খণ্ডকালীন পদে চিকিৎসামূলক সমাজকর্মী হিসাবে পুনরায় কাজ শুরু করেছিলেন।
প্রকাশনা
২০০২ সালে তিনি হোয়াট ইট ওয়াজ অ্যান্ড হোয়াট ইট ওয়াজ নট ((What it was and what it was not), রকিংহ্যাম প্রেস: ) শিরোনামে একটি বই প্রকাশ করেছিলেন। এর পাশাপাশি তিনি চারটি শিশুতোষ বইও প্রকাশ করেছিলেন।
তথ্যসূত্র
বিষয়শ্রেণী:লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিক্সের প্রাক্তন শিক্ষার্থী
বিষয়শ্রেণী:২০০৫-এ মৃত্যু
বিষয়শ্রেণী:১৯২৫-এ জন্ম
বিষয়শ্রেণী:নারী সমাজকর্মী | জুলিয়েট বিংলে |
পুনর্নির্দেশ কীলকাকার লিখন পদ্ধতি | কিউনিফর্ম |
নিওফোবিয়া বা নিউফোবিয়া (ইংরেজি: Neophobia)(নতুন বা অভিজ্ঞতার বাইরের কিছুতে ভয়) হ'ল নতুন কোনও কিছুর ভয়, বিশেষত একটি অবিরাম এবং অস্বাভাবিক ভয়। সহজ কথায় নতুন জিনিস চেষ্টা করা বা রুটিন থেকে বিরতিতে অনীহা। সাধারণত এটি শিশু ও পোষা প্রাণীদের মাঝে বেশি দেখা যায় । যেমন: শিশুদের প্রসঙ্গে শব্দটি সাধারণত অজানা বা অভিনব খাবারগুলি প্রত্যাখ্যান করার প্রবণতা নির্দেশ করতে ব্যবহৃত হয় খাদ্য নিওফোবিয়া। এটি পেডিয়াট্রিক সাইকোলজি বা শিশুমনোরোগ বিদ্যাতে একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্বেগ।
জীববিজ্ঞানের গবেষণায় নিউফোবিয়া স্বাদ সম্পর্কিত গবেষণাও সম্পৃক্ত।
পরিভাষা ও নামকরণ
নিউফোবিয়া নামটি এসেছে গ্রীক ‘νέος’, ইংরেজি বর্ণ বা ধ্বনিতে ‘neos’ যার অর্থ নতুন,যুবক। গ্রীক ‘φόβος’, ইংরেজি ধ্বনিতে ‘phobos’ যার বাংলা অর্থ ভয় বা আতংক। Neophobia শব্দটি গ্রীক এই শব্দ গুলো থেকে বিবর্তন হয়েছে। যার অর্থ ‘ভয় বা রুটিনের বাইরের কিছুতে তীব্র অনীহা।’
উদাহরণ
নরওয়ের বাদামী ইঁদুর (Rattus norvegicus) একসময় মানুষের গৃহে বাস করতো । কিন্তু মানুষের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে তাঁরা যুগের বিবর্তনে জঙ্গলে ও ফসলের মাঠে বসবাস শুরু করে।
প্রাণীদের মাঝে খুব সহজে দেখা মিলে । বিভিন্ন পোষা প্রাণীকে যদি জন্ম থেকে এক রকমের খাদ্য দেয়া হয় তাঁরা পরবর্তী কোন সময়ে নতুন ধরনের খাদ্য গ্রহণ করেনা।
আলোচনা
রবার্ট এন্টন উইলসন তাঁর প্রমিথাস রাইজিং (Prometheus Rising) বইটিতে নিউফোবিয়াকে নেতিবাচক হিসেবে বলেছেন এবং সমাজ-সংস্কৃতি ও খাদ্যভাসভেদে শিশুর উপর এটি বিরূপ প্রভাব ফেলে। যেটি বিবর্তনে টিকে থাকাকে দুরুহ করে তোলে।
থমাস এস. কুহন তাঁর দি স্ট্রাকচার অফ সাইয়েন্টিফিক রিভ্যুলেশন (The Structure of Scientific Revolutions) বইটিতে
তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা দেন যে , নিউফোবিয়া পিতা-মাতার জ্বিন থেকে প্রাপ্ত একটি রোগ। সাধারণত গর্ভকালীন সময়ে অথবা পিতা-মাতার জীবনকালে যদি কোন নির্দিষ্ট কিছুতে অনীহা থাকে অথবা রুটিন এক রকমের হয় তবে নতুন সন্তানটি ঐ গুণ পায় ।
খাদ্য নিউফোবিয়া
মানুষের মধ্যে খাদ্য নিওফোবিয়াকে নতুন বা অপরিচিত খাবার খাওয়ার ভয় হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে। এটি পরিহারকারী / সীমাবদ্ধ খাদ্য গ্রহণের ব্যাধি । ছোট বাচ্চাদের এবং ছোট বাচ্চাদের মধ্যে খাদ্য নিওফোবিয়া বিশেষত প্রচলিত। এটি কোনও ব্যক্তির সংবেদন-সন্ধানের স্তরের সাথে সম্পর্কিত, যার অর্থ কোনও ব্যক্তির নতুন জিনিস চেষ্টা করার এবং ঝুঁকি নিতে আগ্রহী নয়। উচ্চ খাদ্য নিওফোবিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তিরা নতুন কোন কিছুতেই প্রচন্ড অনাগ্রহী হয়। ছোট বাচ্চাদের জন্য এটি ভয়াবহ ব্যাধি। ওষুধ অথবা নতুন কোন পুষ্টিকর খাবার গ্রহণে, বিভিন্ন সংস্কৃতি ও পরিবেশ ভেদে খাবারের স্বাদ গ্রহণে তাঁরা অনাগ্রহী হয় এবং তাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
পোষা প্রাণীদের নতুন ধরনের খাদ্য গ্রহণে অনীহা খুব প্রকট হয়। বেশীরভাগ সময় তাঁরা গ্রহণ না করে মৃত্যু বরণ করে।
অন্যদিকে, বলা হয়ে থাকে নিউফোবিয়া আক্রান্ত প্রাণীদের এ অভ্যেসের কারণে নতুন খাদ্যের ঝুঁকি কিংবা বিষক্রিয়া থেকে তাদের রক্ষা করতে পারে।
কারণ
পিতা-মাতার জ্বিনগত গুণাগুণে শিশুতে নিউফোবিয়া হয়। পিতা-মাতার দৈনন্দিন জীবনের রুটিন, পদ্ধতি-আচরণ, খাদ্যাভাস শিশু পায়। যেমন: কোন পিতা-মাতা ধুমপায়ী হলে তাঁর সন্তানের ধুমপায়ী হওয়ার সম্ভাবনা। এছাড়াও তাঁরা পিতা-মাতা কিংবা প্রিয় কোন মানুষের অনুকরণে অভ্যাস গড়ে নিতে পারে এবং তাঁর ব্যতিক্রমে অনীহা প্রকাশ করে। এক্ষেত্রে খাদ্য গ্রহণ,পোশাক-পরিচ্ছেদ, কথা ও আচার-আচরণ-ব্যবহার প্রভৃতি একবার অনুকরণ করলে আর সেটি পরিবর্তন করতে চায় না।সেটি পরিবর্তন করানো খুব কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।
পিতা-মাতার জ্বিন প্রাপ্ত গুণে তেতো অথবা বাজে স্বাদ যুক্ত, বিষাক্ত খাদ্য থেকে ঝুঁকিমুক্ত থাকতে নিউফোবিয়া খুব উপকারী অভ্যাস।
পরিবেশ-প্রকৃতি অনেক সময় শিশুর মনে নিউফোবিয়া জন্ম দেয়।
চিকিৎসা
শিশুকে অথবা পোষা প্রাণীকে শাস্তির মাধ্যমে এ অভ্যেস থেকে ফিরিয়ে আনা যায়। অনেক সময় ঐ পছন্দ খাদ্যটির লোভ বা উপহার দেখিয়ে অপছন্দের খাদ্য অথবা রুটিন পরিবর্তন করানো যায়।
সূত্র ও উৎস
১. Shim, Jae Eun; Kim, Juhee; Mathai, Rose Ann; STRONG Kids Research, Team. (September 2011). "Associations of Infant Feeding Practices and Picky Eating Behaviors of Preschool Children". Journal of the American Dietetic Association. 111 (9): 1363–1368. doi:10.1016/j.jada.2011.06.410. PMID 21872699.
২ Dovey, Terence M.; Staples, Paul A.; Gibson, E. Leigh; Halford, Jason C.G. (March 2008). "Food neophobia and 'picky/fussy' eating in children: A review". Appetite. 50 (2–3): 181–193. doi:10.1016/j.appet.2007.09.009. PMID 17997196. S2CID 13024205.
৩. Perry, Rebecca A; Mallan, Kimberley M; Koo, Jasly; Mauch, Chelsea E; Daniels, Lynne A; Magarey, Anthea M (2015). "Food neophobia and its association with diet quality and weight in children aged 24 months: a cross sectional study". International Journal of Behavioral Nutrition and Physical Activity. 12 (1): 13. doi:10.1186/s12966-015-0184-6. PMC 4335451. PMID 25889280.
৪. νέος, Henry George Liddell, Robert Scott, A Greek-English Lexicon, on Perseus
φόβος, Henry George Liddell, Robert Scott, A Greek-English Lexicon, on Perseus
৫. καινός, Henry George Liddell, Robert Scott, A Greek-English Lexicon, on Perseus
Cainophobia, Dictionary.com
৬ "The Phobia List".
Meddock TD, Osborn DR (May 1968). "Neophobia in wild and laboratory mice". Psychonomic Science. 12 (5): 223. doi:10.3758/BF03331280. ISSN 0033-3131.
৭. Lalonde R, Badescu R (1995). "Exploratory drive, frontal lobe function and adipsia in aging". Gerontology. 41 (3): 134–44.doi:10.1159/000213674. PMID 7601365.
৮. Logue, A.W. (2004). The Psychology of Eating and Drinking. New York: Brunner-Routledge. p. 90.
৯. Pliner, P.; K. Hobden (1992). "Development of a scale to measure the trait of food neophobia in humans". Appetite. 19 (2): 105–120. doi:10.1016/0195-6663(92)90014-w. PMID 1489209. S2CID 9530258.
১০. Alley TR, Potter KA (2011). "Food Neophobia and Sensation Seeking". Handbook of Behavior, Food and Nutrition. Springer. pp. 707–724.
১১. Marples, Nicola M.; Kelly, David J.; Thomas, Robert J. (2005).
১২. "Perspective: The Evolution of Warning Coloration is Not Paradoxical". Evolution. 59 (5): 933–940. doi:10.1111/j.0014-3820.2005.tb01032.x. ISSN 0014-3820. PMID 16136793. S2CID 24118222.
১৩. Marples, N.M.; Kelly, D.J. (1999). "Neophobia and Dietary Conservatism:Two Distinct Processes?". Evolutionary Ecology. 13 (7–8): 641–653. doi:10.1023/A:1011077731153. ISSN 0269-7653. S2CID 27737756.
১৪. Harris HA, Fildes A, Mallan KM, Llewellyn CH (July 2016). "Maternal feeding practices and fussy eating in toddlerhood: a discordant twin analysis". Int J Behav Nutr Phys Act. 13: 81. doi:10.1186/s12966-016-0408-4. PMC 4944306. PMID 27412445.
১৫. Smith AD, Herle M, Fildes A, Cooke L, Steinsbekk S, Llewellyn CH (February 2017). "Food fussiness and food neophobia share a common etiology in early childhood". J Child Psychol Psychiatry. 58 (2): 189–196. doi:10.1111/jcpp.12647. PMC 5298015. PMID 27739065.
১৬. Dovey, Terence M. (2010). Eating Behaviour. England: Open University Press. pp. 47, 48, 55.
Moyer, Melinda Wenner (19 December 2012). "Picky eater kids: Their eating habits might be your fault, but they'll survive". Slate. | নিউফোবিয়া |
ফাড় চিত্রকর্ম বা ফাড় (সংস্কৃত লিপ্যান্তরের আন্তর্জাতিক বর্ণমালা: Phad, হিন্দি: फड़ ) হল ভারতের রাজস্থান রাজ্যে অনুশীলিত গোটান কাগজে চিত্রকর্ম এবং লোকশিল্পের একটি শৈলী
বর্ণনা
এই শৈলীর চিত্রকর্মটি ঐতিহ্যগতভাবে একটি দীর্ঘ কাপড় বা ক্যানভাসে করা হয়, যেটি ফাড় নামে পরিচিত। রাজস্থানের লোক দেবদেবীদের বিবরণ, বেশিরভাগই পাবুজি এবং দেবনারায়ণকে নিয়ে, ফাড়এ চিত্রিত হয়েছে। 'ভোপা' যাজক-গায়করা ঐতিহ্যগতভাবে আঁকা ফাড় কে সাথে রাখেন এবং এবং সেগুলিকে এই অঞ্চলের রেবারী সম্প্রদায় দ্বারা উপাসনা করা লোক দেবদেবীদের চলমান মন্দির হিসাবে ব্যবহার করেন। পাবুজির ফাড় সাধারণত দৈর্ঘ্যে প্রায় ১৫ ফুট হয়, আর দেবনারায়ণের ফাড় সাধারণত ৩০ ফুট দীর্ঘ। ঐতিহ্যগতভাবে ফাড় প্রাকৃতিক রঙে আঁকা হয়।
রাজস্থানের ভিলওয়াড়া জেলার ভিলওয়াড়া এবং শাহপুরার জোশী পরিবারগুলি গত দুই শতাব্দী ধরে এই লোকশিল্পের ঐতিহ্যবাহী শিল্পী হিসাবে ব্যাপকভাবে পরিচিত। বর্তমানে, শ্রী লাল জোশী, নন্দ কিশোর জোশী, প্রদীপ মুখার্জি, প্রকাশ জোশী, ঘনশ্যাম জোশী এবং শান্তি লাল জোশঈ ফাড় চিত্রকলার সর্বাধিক প্রখ্যাত শিল্পী। তাঁরা তাঁদের উদ্ভাবন এবং সৃজনশীলতার জন্য পরিচিত।
ফাড়ের কিছু উদাহরণ
এই শিল্পের পরম্পরাগত উদাহরণ হল দেবনারায়ণের ফাড় এবং পাবুজির ফাড়। প্রায় চল্লিশ বছর আগে শ্রী লাল জোশী এবং প্রদীপ মুখার্জি এই শৈলীতে বিপ্লব এনেছিলেন। মুখার্জির চিত্রকর্মগুলি রামচরিতমানস, গীতগোবিন্দম্, কুমারসম্ভবম্, ভগবদ্গীতা এবং হনুমান চালিশার ওপর ভিত্তি করে নির্মিত। ফাড় চিত্রকলার শিল্পটি যোশী সম্প্রদায় একচেটিয়াভাবে অনুশীলন করেছিল। কিন্তু পরে, ১৯৬০ সালে, শ্রী লাল জোশী প্রত্যেককে এই শিল্পশৈলী শেখার সুযোগ করে দেবার জন্য 'জোশী কলা কেন্দ্র' নামে একটি বিদ্যালয় খোলেন। বর্তমানে বিদ্যালয়টির নাম 'চিত্রশালা'।
তথ্যসূত্র
আরো পড়ুন
(see index: p. 148-152)
বহিঃসংযোগ
A dedicated website on phad painting
বিষয়শ্রেণী:রাজস্থানী সংস্কৃতি
বিষয়শ্রেণী:ভারতীয় শিল্পকলা
বিষয়শ্রেণী:ভিলওয়াড়া জেলা | ফাড় চিত্রকর্ম |
পুনর্নির্দেশ ঘর্ম নিঃসরণ | স্বেদ |
পুনর্নির্দেশ এনামুল হক শরীফ | এনামুল শরীফ |
জোয়ানা কার্ভার কলকোর্ড (১৮ মার্চ, ১৮৮২ - ৮ এপ্রিল, ১৯৬০) ছিলেন একজন পথিকৃৎ সমাজকর্মী ও লেখিকা। সমুদ্রে জন্মগ্রহণ এবং বিংশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে মার্কিন সমুদ্রমানবদের ভাষা, কাজ ও লোকসঙ্গীতের উপর গ্রন্থ প্রকাশের জন্যও তিনি উল্লেখযোগ্য ছিলেন।
প্রাথমিক জীবন
কলকোর্ডের পিতা-মাতা জেন ফ্রেঞ্চ (সুইটসার) এবং ক্যাপ্টেন লিংকন অ্যালডেন কলকোর্ড উভয়ই মেইন পরিবার থেকে এসেছিলেন। জেন ফ্রেঞ্চ তার কন্যা জোয়ানাকে নিউ ক্যালেডোনিয়ার নিকটবর্তী দক্ষিণ-পশ্চিমে প্রশান্ত মহাসাগরে শার্লট এ লিটলফিল্ড নামক একটি জাহাজে প্রসব করেছিলেন। জাহাজটি নিউ সাউথ ওয়েলসের নিউক্যাসল ছেড়ে জাপানের ইয়োকোহামার দিকে যাত্রা করেছিল।
পেনোবস্কট উপসাগর বা মেইনের সিয়ার্সপোর্ট উপকূলে কাটানো সময় ছাড়াও জোয়ানা এবং তার ছোট ভাই লিংকন রোস কলকোর্ড তাদের শৈশবের বেশিরভাগ সময়ই সমুদ্রপথে কাটিয়েছিলেন।
শিক্ষা ও প্রাথমিক জীবন
জেন কলকোর্ড তার সন্তানদের সমুদ্রেই শিক্ষাদান করেছিলেন, এবং জোয়ানার উচ্চ বিদ্যালয়ের পড়াশোনা ছিল পত্রবিনিময় ভিত্তিক। তিনি জাহাজে থাকাকালেই ভূগোল এবং গণিতে পারদর্শী হয়েছিলেন।
১৯০২ সালের শুরুতে তিনি মেইন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। সেখান থেকে তিনি ১৯০৬ সালে রসায়নে স্নাতক এবং ১৯০৯ সালে জৈবরসায়নে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন।
শেষ জীবন
রক্তসংবহন সমস্যা এবং ডায়াবেটিসসহ স্বাস্থ্য সমস্যাগুলো ১৯৪৪ সালে কলকোর্ডকে অবসর নিতে বাধ্য করেছিল। ১৯৫০ সালের নভেম্বরে তিনি দীর্ঘদিনের বন্ধু এবং সহকর্মী ফ্রাঙ্ক জে ব্রুনোকে বিয়ে করেছিলেন। ব্রুনো সেন্ট লুইসের ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত সমাজবিজ্ঞানের অধ্যাপক ছিলেন এবং জোয়ানাকে বিয়ে করার বেশ কয়েক মাস আগেই তিনি বিপত্নীক হয়েছিলেন।
১৯৫৫ সালে ব্রুনোর মৃত্যুর পরে জোয়ানা কার্ভার কলকোর্ড তার সৎসন্তানের সাথে বসবাস করতে ইন্ডিয়ানা লেবাননে চলে গিয়েছিলেন। ১৯৬০ সালে তিনি স্ট্রোকজনিত কারণে সেখানে মারা যান।
তথ্যসূত্র
বিষয়শ্রেণী:১৯৬০-এ মৃত্যু
বিষয়শ্রেণী:১৮৮২-এ জন্ম
বিষয়শ্রেণী:নারী সমাজকর্মী | জোয়ানা কার্ভার কলকোর্ড |
মাদারগঞ্জ থানা বাংলাদেশের জামালপুর জেলার অন্তর্গত মাদারগঞ্জ উপজেলার একটি থানা।
প্রতিষ্ঠাকাল
১৯০৬ সালের ১৫ জুন মাদারগঞ্জ থানা প্রতিষ্ঠিত হয়।
প্রশাসনিক এলাকাসমূহ
মাদারগঞ্জ উপজেলার ১টি পৌরসভা ও ৭টি ইউনিয়নের প্রশাসনিক কার্যক্রম মাদারগঞ্জ থানার আওতাধীন।
পৌরসভা:
মাদারগঞ্জ
ইউনিয়নসমূহ:
১নং চর পাকেরদহ
২নং কড়ইচড়া
৩নং গুনারীতলা
৪নং বালিজুড়ী
৫নং জোড়খালী
৬নং আদারভিটা
৭নং সিধুলী
উল্লেখযোগ্য স্থান
খরকা বিল: উনবিংশ শতাব্দীর শুরুতে কোনো এক ভয়াবহ ভূমিকম্পে এই বিলের উৎপত্তি হয়েছিল বলে ধারণা করা হয়। উপজেলা পরিষদ ঘেঁষে জোনাইল বাজার পর্যন্ত প্রায় সাত কিলোমিটার এর বিস্তৃতি ছিল। পরবর্তীতে ভূমিধ্বসের ফলে এটি পূর্ব পাশের চতলা বিলের সাথে মিশে বিশাল আকার ধারণ করে। বিলটির গভীরতা ও মাছের প্রাচুর্যতার কারণে মাদারগঞ্জের মাছের আড়ৎ নামে পরিচিত ছিল। খরকা বিল নিয়ে রচিত হয়েছে বিভিন্ন সাহিত্য গল্প ও কবিতা। যা পড়লে সহজেই এর হারানো রূপ ও বৈচিত্র উপলব্ধি করা যায়। এখন এই বিলের পাশ দিয়ে স্থাপিত হয়েছে হাইওয়ে রোড।
থাম্ব|খরকা বিল
থাম্ব|হাইওয়ে রোড
ঝাড়কাটা নদী: মাদারগঞ্জ উপজেলার অন্যতম শাখা নদী। এটি মাদারগঞ্জ উপজেলার উত্তর পার্শ্ব দিয়ে ঝাড়কাটা গ্রামে অবস্থিত। এই নদী নিয়ে প্রচলিত আছে রূপকথা, ভূতের গল্প ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস।
থাম্ব|ঝাড়কাটা নদী
মালিপাড়া: জোরখালী গ্রামের প্রসস্থ অঞ্চলজুড়ে অবস্থিত মালি, চং, পাঠুনিসহ বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের আদিনিবাস। মালিপাড়া একসময় ছিল তাবু, ছোন ও খড়ের তৈরি ঘরে পূর্ণ কোলাহলযুক্ত একটি ঘন আবাসস্থল। দেশের বিভিন্ন স্থান হতে বণিকেরা এখানে বাণিজ্যিক কাজে আসতো। ১৯৪৬ সালে হিন্দু মুসলমান ভয়াবহ দাঙ্গার সময় প্রায় নৃগোষ্ঠীর লোকেরা ভারতের আসাম ও মেঘালয়ে চলে যায়। পরবর্তীকালে আবার (পাকিস্তানি সরকারের ক্রোধের সময়) বাকি লোকেরাও ভারতসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় আত্মগোপন করেন। দীর্ঘকালব্যাপী এই অঞ্চলটি খরগোশ, শিয়াল, সজারু, নেকড়ে, বন্যশুকর, কচ্ছপসহ বিভিন্ন পশু, সরিসৃপ ও পাখিদের আবাসস্থল হিসাবে পড়ে থাকতো। কিন্তু পরবর্তীতে দিনে দিনে এইসব জমি স্থানীয় লোকদের বাসস্থান ও আবাদী জমিতে পরিণত হয়েছে।
থাম্ব|মানচিত্রে মালিপাড়া
তারতাপাড়া নীলকুঠি: মাদারগঞ্জ উপজেলার ঐতিহ্যবাহী নীলকুঠি। এটি তারতাপাড়া গ্রামের দক্ষিণ পাশে কুঠিবন্দ নামক স্থানে অবস্থিত। যেখানে বৃটিশ আমলে ইংরেজরা নীল জাল করার চুল্লি ও কুঠি স্থাপন করেছিল। বর্তমানে এটি পরিতেক্ত ভূমি হিসেবে পড়ে আছে।
থাম্ব|তারতাপাড়া নীলকুঠি
শেখ রাসেল টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট: জোরখালী গ্রামে অবস্থিত মাদারগঞ্জ উপজেলার উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। অত্র প্রতিষ্ঠানটি কইয়ের বিল ও কাছিমগড় বিলের মনোরম পরিবেশে জামালপুর-মাদারগঞ্জ মহাসড়কের পাশে অবস্থিত। বিলগুলোর অনেকাংশ বিলুপ্ত হয়ে গেলেও বর্ষাকাল ও বন্যার সময় তাদের হারানো রূপ-বৈচিত্র্য কিছুটা ফিরে পায়। যা সহজেই প্রকৃতি প্রেমিদের দৃষ্টি ও মন কেড়ে নেয়। কিন্তু অপরিকল্পিত নগরায়নের ফলে এতটুকুও হয়তো একদিন হারিয়ে যাবে।
থাম্ব|শেখ রাসেল টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট
উল্লেখযোগ্য ব্যক্তি
আশেক মাহমুদ তালুকদার (১৮৭০ - ১৯৬০ ) সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজের প্রতিষ্ঠাতা। এছাড়াও তার উল্লেখযোগ্য প্রতিষ্ঠার মধ্যে এস,এম ফাযিল সিনিয়র মাদরাসা ও মাদারগঞ্জ এ,এইচ,জেড কলেজ অন্যতম।
থাম্ব|আশেক মাহমুদ তালুকদার
নজরুল ইসলাম বাবু (১৭ জুলাই ১৯৪৯ - ১৪ সেপ্টেম্বর ১৯৯০) একজন গীতিকার ও বীর মুক্তিযোদ্ধা। "সব কটা জানালা খুলে দাও না", "একটি বাংলাদেশ তুমি জাগ্রত জনতার" গানের গীতিকার তিনি। ১৯৯১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত পদ্মা মেঘনা যমুনা চলচ্চিত্রের গীত রচনার জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ গীতিকার বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।
থাম্ব|নজরুল ইসলাম বাবু
আলহাজ্ব হাবিবুর রহমান তাঁরা (২৪ জানুয়ারী ১৯৪৯ চরপাকেরদহ ইউনিয়ন - ২৭ এপ্রিল ২০১২) আহলে হাদীস আন্দোলন বাংলাদেশ এর উল্লেখযোগ্য ব্যক্তি। বঙ্গবন্ধুর একনিষ্ঠ অনুসারী হিসেবে মাদারগঞ্জ উপজেলায় আওয়ামীলীগ প্রতিষ্ঠায় বিশেষ ভুমিকা রাখেন। কহল-দুর্নীতিবিহীন সমাজ ও কুসংস্কার বিহীন ধর্ম প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি ক্রমাগত সংগ্রাম করেছেন। তিনি ছিলেন একাধারে ন্যায়বিচারক, ধর্মসংস্কারক ও রাজনীতিবিদ।
থাম্ব|হাবিবুর রহমান তাঁরা (তাঁরা হাজী)
গিয়াস উদ্দিন আহমদ (১৮৮৯- ২৯ জুলাই ১৯৬৫) ১৯২১ সালে অসহযোগ ও খেলাফত আন্দোলনে যোগ দিয়ে প্রেসিডেন্সী কলেজ ত্যাগ করে প্রথম কারাবরণ করেন। জেল-মুক্ত হয়ে জামালপুরে এসে শক্তিশালী কংগ্রেস সংগঠন গড়ে তুলেন। ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্টের মনোনয়নে এম.এল.এ নির্বাচিত হন এবং খাদ্যমন্ত্রী হন।
সৈয়দ করিমুজ্জামান তালুকদার নেতাজী সুভাষ বসুর অনুসারী একজন নেতৃস্থানীয় কংগ্রেস কর্মী ছিলেন। কলকাতা জেলা কংগ্রেস কমিটির সদস্য ছিলেন। ১৯৪০ সালে নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু সাংগঠনিক সফরে জামালপুরে এসে সৈয়দ করিমুজ্জামানের চন্দ্রার বাড়িতে উঠেছিলেন। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে মেলান্দহ-মাদারগঞ্জ এলাকা থেকে এম.এন.এ নির্বাচিত হন।
ডা. মুনির উদ্দিন আহমদ (জন্ম: ১৯০০ সালে সিধুলী ইউনিয়নের চর নান্দিনায়) ময়মনসিংহ মেডিকের কলেজ থেকে পাশ করে কলকাতায় চলে যান। কলকাতা থাকাকালীন কৃষক প্রজা পার্টিতে যোগ দেন। ১৯৪৩ সালে জামালপুরের দুর্ভিক্ষ-পীগিত হাজার হাজার মানুষের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দেন। ১৯৬৬ সারে ৬ দফা, ১৯৬৯ সালের গণআন্দোলন এবং ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ ভূমিকা পালন করেন।
আরও দেখুন
মাদারগঞ্জ উপজেলা
জামালপুর জেলা
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ
বিষয়শ্রেণী:জামালপুর জেলার থানা
বিষয়শ্রেণী:মাদারগঞ্জ উপজেলা | মাদারগঞ্জ থানা |
স্তরায়িত মাখা ময়দার তাল () এক ধরনের রান্নার প্রস্তুতিমূলক উপাদান যাতে বহুসংখ্যক মাখা ময়দার তালের স্তর একে অপরের থেকে মাখন দ্বারা পৃথক থাকে। ময়দার তালের মধ্যে মাখন রেখে বারংবার ভাঁজ করে ও বেলে এটি প্রস্তুত করা হয়। কিছু কিছু স্তরায়িত মাখা ময়দার তালে আশিটির বেশী স্তর থাকতে পারে। বদ্ধ উনুনে সেঁকার সময় মাখনের ভেতরে অবস্থিত পানি বাষ্পীভূত হয়ে সম্প্রসারিত হয় ফলে ময়দাল তালটি ফুলে ওঠে ও স্তরগুলি একে অপরের থেকে আলাদা হয়ে যায়। একই সময় মাখনের স্নেহ পদার্থগুলি ময়দার তালটিকে ভেতর থেকে ভাজতে থাকে। পরিণামে একটি হালকা, ঝুরঝুরে খাদ্য উৎপন্ন হয়। স্তরায়িত মাখা ময়দার তালের কিছু উদাহরণ হল:
ক্রোয়াসঁ ময়দার তাল
ডেনীয় সেঁকা ময়দার সুখাদ্যতে ব্যবহৃত ময়দার তাল
ঝুরঝুরে ময়দার তাল
জাখনুন
কুবানেহ
পরোটা
ফাঁপা ময়দার তাল
আরও দেখুন
মাখা ময়দার পাত তৈরীকরণ (Dough sheeting), শিল্পক্ষেত্রে ব্যবহৃত প্রস্তুতি কৌশল
তথ্যসূত্র
বিষয়শ্রেণী:সেঁকা ময়দার সুখাদ্য প্রস্তুতি
বিষয়শ্রেণী:মাখা ময়দার তাল
বিষয়শ্রেণী:খাদ্য প্রস্তুত কৌশল | স্তরায়িত মাখা ময়দার তাল |
সামাজিক দায়বদ্ধতা একটি নৈতিক পরিকাঠামো যা অনুযায়ী প্রতিটি ব্যক্তির অন্যান্য ব্যক্তি ও সংগঠনসমূহের সাথে একত্রে কাজ করা উচিত যাতে বৃহত্তর সমাজের লাভ হয়। প্রতিটি ব্যক্তিই অর্থনীতি ও বাস্তুতন্ত্রগুলির মধ্যকার সাম্যাবস্থা বজায় রাখার জন্য সামাজিকভাবে দায়বদ্ধ। বস্তুগত দৃষ্টিকোণ থেকে অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং সমাজ ও পরিবেশের কল্যাণের মধ্যে এক ধরনের আপোসরফামূলক ভারসাম্য (Trade-off) থাকতে পারে। তবে এই মতটির বিরুদ্ধে বিগত দশকগুলিতে বহুসংক্যক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। সামাজিক দায়বদ্ধতা বলতে এই দুইয়ের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখাকে বোঝায়। এটি শুধু ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানসমূহই নয়, বরং পরিবেশের উপর প্রভাব ফেলে এমন যেকোনও কাজ সম্পাদনকারী ব্যক্তির জন্যও প্রযোজ্য। সামাজিক দায়বদ্ধতার একটি উদাহরণ হল গ্রামীণ অঞ্চলে বসবাসরত লোকদের জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা এবং দূরত্ব, আর্থিক অবস্থা, ইত্যাদির মতো সমস্ত প্রতিবন্ধকতাগুলি দূর করা। আরেকটি উদাহরণ হল বহিরাঙ্গণ বর্জ্য ও জঞ্জাল থেকে মুক্ত রাখা। এই দায়বদ্ধতা নিষ্ক্রিয় ধরনের হতে পারে, যেমন সামাজিকভাবে ক্ষতিকর কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকা, কিংবা সক্রিয় ধরনের হতে পারে, যেমন সামাজিক লক্ষ্য পূরণের জন্য নির্দিষ্ট কর্মকাণ্ডে যোগদান করা। সামাজিক দায়বদ্ধতাকে অবশ্যই আন্তঃপ্রজন্ম হতে হয়, কেননা এক প্রজন্মের কাজ পরবর্তী এক বা একাধিক প্রজন্মের উপরে প্রভাব ফেলতে পারে।
তথ্যসূত্র
বিষয়শ্রেণী:সামাজিক দায়িত্ব
বিষয়শ্রেণী:ফলিত নীতিশাস্ত্র
বিষয়শ্রেণী:সুজীবনযাপন বিজ্ঞান
বিষয়শ্রেণী:সামাজিক নীতিশাস্ত্র
বিষয়শ্রেণী:সামাজিক আন্দোলন
বিষয়শ্রেণী:সমাজবৈজ্ঞানিক পরিভাষা | সামাজিক দায়বদ্ধতা |
আল-হামরা প্রসাদ (, ; , , ) স্পেনের আন্দালুসিয়ার গ্রানাডায় অবস্থিত একটি প্রাসাদ এবং দুর্গ কমপ্লেক্স।
ইতিহাস
ভূমি ও নকশা গঠন
রাজত্ব
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ
আরব স্থাপত্য - প্রথম খান ব্রাদার্স সংস্করণ। | আল-হামরা প্রাসাদ |
বুরা কথা (বুরাকথাও বলা হয়) হল জঙ্গম কথা ঐতিহ্যে একটি মৌখিক গল্প কথনের কৌশল। এটি অন্ধ্রপ্রদেশের গ্রামে পরিবেশিত হয়। দলে একজন প্রধান পরিবেশনকারী এবং দুজন সহ-পরিবেশনকারী থাকে। এটি একটি আখ্যানমূলক বিনোদন যেখানে প্রার্থনা, একক নাটক, নৃত্য, গান, কবিতা এবং রসিকতা শোনানো হয়। কথনের বিষয়টি হয় একটি হিন্দু পৌরাণিক কাহিনী (জঙ্গম কথা) বা একটি সমসাময়িক সামাজিক সমস্যা।
উৎস
গ্রামের নিরক্ষর জনগণের মধ্যে রাজনৈতিক ধারণা প্রচারের লক্ষ্যে ১৯৪২ সালের দিকে গুন্টুর জেলায় বিশিষ্ট বুরা-কথার বিকাশ ঘটেছিল।
ব্যুৎপত্তি
"বুরা" দিয়ে বোঝানো হয় তানপুরা, যেটি একটি ফাঁপা খোলের তন্তু বাদ্যযন্ত্র। "কথা" মানে বোঝায় গল্প।
তেলুগু ভাষায় বুরার অর্থ একটি খুলি। ফাঁপা খোলটি একটি মানুষের খুলির অনুরূপ। এটি পোড়ানো কাদামাটি বা শুকনো কুমড়ো দিয়ে তৈরি, অথবা এটি পিতল এবং তামা দিয়েও তৈরি হতে পারে। উপকরণটির বীণার সাথে খুব মিল আছে এবং কথক তন্তুগুলির সাহায্যে সুর নিয়ে আসে ও সঙ্গীত তৈরি করে।
আরো দেখুন
জঙ্গম
কীর্তন
হরিকথা
ওগ্গু কথা
প্রবচন
তথ্যসূত্র
গ্রন্থপঞ্জী
বহিঃসংযোগ
Ancient Jangam Katha
Burrakatha origins
Burrakatha description
Jangam Katha as art
Story telling techniques in south India
বিষয়শ্রেণী:নাটক
বিষয়শ্রেণী:হিন্দু সংগীত
বিষয়শ্রেণী:অন্ধ্রপ্রদেশের সংস্কৃতি
বিষয়শ্রেণী:গল্পকথন
বিষয়শ্রেণী:ভারতের প্রদর্শন শিল্পকলা | বুরাকথা |
অস্ট্রেলিয়া মহিলা ক্রিকেট দল ২০২১-এর মার্চ-এপ্রিলে নিউজিল্যান্ড মহিলা ক্রিকেট দলের সাথে খেলার সূচী নির্ধারিত হয়েছে। এই সফরটি নির্ধারিত করা হয়েছিল ঐ সময়, যখন ২০২১ মহিলা ক্রিকেট বিশ্বকাপ প্রতিযোগিতার আয়োজন করার সূচী নির্ধারিত হয়েছিল যদিও পরবর্তীতে, প্রতিযোগিতাটিকে কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে এক বছর পিছিয়ে দেয়া হয়। বর্তমান সফরটির সূচী নির্ধারিত হয় ২০২১ এর জানুয়ারিতে, যার মধ্যে রয়েছে তিনটি মহিলাদের টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিক (ডব্লিউটি২০আই) ও তিনটি মহিলাদের একদিনের আন্তর্জাতিক (ডব্লিউওডিআই)। মহিলাদের টি২০আই ম্যাচগুলোর সূচী বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ড পুরুষ দলের সাথে ডাবল-হেডারে অনুষ্ঠিত হবে।
দলীয় সদস্য
ইনজুরির কারণে অ্যানাবেল সুথারল্যান্ড স্কোয়াড থেকে বাদ পড়ে যায়, এবং তার স্থলে মলি স্ট্র্যানোকে দলে ডাকা হয়।
মহিলা টি২০আই সিরিজ
১ম মহিলা টি২০আই
২য় মহিলা টি২০আই
৩য় মহিলা টি২০আই
মহিলা ওডিআই সিরিজ
১ম মহিলা ওডিআই
২য় মহিলা ওডিআই
৩য় মহিলা ওডিআই
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ
ক্রিকইনফোতে সিরিজের বিস্তারিত
অস্ট্রেলিয়া ২০২০-২১
নিউজিল্যান্ড ২০২০-২১
বিষয়শ্রেণী:২০২০-২১ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট প্রতিযোগিতা
বিষয়শ্রেণী:২০২০-২১ অস্ট্রেলিয়ান মহিলাদের ক্রিকেট মৌসুম
বিষয়শ্রেণী:২০২১-এ নিউজিল্যান্ডীয় ক্রিকেট
ক্রিকেট
বিষয়শ্রেণী:২০২১-এ মহিলাদের ক্রিকেট | ২০২০-২১ অস্ট্রেলিয়া মহিলা ক্রিকেট দলের নিউজিল্যান্ড সফর |
আর্টেমিস ২ (আনুষ্ঠানিকভাবে আর্টেমিস II [৪]) নাসার ওরিয়ন মহাকাশযানের প্রথম নির্ধারিত নভোচারী অভিযান, যা বর্তমানে ২০২৩ সালের আগস্টে স্পেস লঞ্চ সিস্টেম দ্বারা উৎক্ষেপণ করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। [১] [৫] বর্তমান পরিকল্পনাটি একটি নভোচারীযুক্ত ওরিওন মহাকাশযানের দ্বারা একটি চন্দ্র ফ্লাইবাই পরীক্ষা করা এবং পৃথিবীতে ফিরে আসা।
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ
বিষয়শ্রেণী:আর্টেমিস প্রোগ্রাম
বিষয়শ্রেণী:চাঁদে অভিযান | আর্টেমিস ২ |
থিড়াম্বু নৃত্যম (দেবতার প্রতিরূপ সহ নাচ) হল ভারতের উত্তর মালবারের মন্দিরগুলিতে পরিবেশিত একটি হিন্দু নৃত্য। এটি মূলত নাম্বুদ্রী ব্রাহ্মণ এর দ্বারা সম্পাদিত হয়। তবে খুব কম হলেও অন্যান্য ব্রাহ্মণ সম্প্রদায়, যেমন শিবল্লী, করহাদে এবং হব্যক ব্রাহ্মণ দ্বারাও এটি সম্পাদিত হয়।
থিড়াম্বু নৃত্যম, নামটি এসেছে এর নৃত্য পদ্ধতি অনুসরণ করে। এখানে দেবতার সজ্জিত মূর্তি (থিড়াম্বু) মাথায় বহন করে নৃত্য করা হয়।
উপাদানসমূহ
মন্দিরের ভিতরে এবং বাইরে উভয় স্থানেই এই নৃত্য মঞ্চস্থ হয়। এই নৃত্যটি সঞ্চালনের জন্য দশ ব্যক্তির প্রয়োজন হয়। মাথার উপর দেবীর সজ্জিত মূর্তি নিয়ে এই নৃত্য পরিবেশন করা হয়। এখানে পায়ের কাজ সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ এবং ড্রামের তালে পদবিক্ষেপ কার্যকর করা হয়। থিড়াম্বু নৃত্যম সাধারণত নাম্বুদ্রী ব্রাহ্মণ (কেরলের ব্রাহ্মণ) দ্বারা সম্পাদিত হয়। সাতজন সংগীতশিল্পী এবং দুজন প্রদীপ বহনকারী থাকে। পুরুষেরা সমস্ত নৃত্য পরিদর্শন করেন। সংগীত শিল্পীরা মারার বা পোথুওয়াল সম্প্রদায়ের এবং প্রদীপবাহকরা পুষ্পকান (উন্নি), নামবিসান, ভারিয়ার ও উন্নিথিরি সম্প্রদায়ের
পোশাক
নৃত্যশিল্পীরা কুঁচি দেওয়া কাপড়ের স্কার্ট, সিল্কের জামা, কানের দুল, চুড়ি, গলার হার এবং সজ্জিত পাগড়ি পরেন। নৃত্যাভিনয়টি বিভিন্ন পর্যায়ে যেমন উড়িয়াল, উপাস্য দেবতাকে আহ্বান, থাকিলাদি আদন্ত, চেম্বাদা, পমচান প্রভৃতিতে উদ্ঘাটিত হয়। নর্তকের সাথে সাধারণত একদল শিল্পী থাকে, যার মধ্যে পাঁচ জন ঘাতবাদ্য বাজায় এবং দুজন প্রদীপ জ্বালিয়ে ধরে।
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ
বিষয়শ্রেণী:ভারতের নৃত্য
বিষয়শ্রেণী:ভারতের নাট্যকলা
বিষয়শ্রেণী:নাচ
বিষয়শ্রেণী:কেরলের শিল্পকলা | থিড়াম্বু নৃত্যম |
শর্মিলা চক্রবর্তী (জন্ম ১৯ মার্চ ১৯৬১ তারিখে পশ্চিমবঙ্গে) একজন সাবেক টেস্ট এবং ওয়ানডে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার যিনি ভারতের জাতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন।
তথ্যসূত্র
বিষয়শ্রেণী:পশ্চিমবঙ্গের ব্যক্তি
বিষয়শ্রেণী:জীবিত ব্যক্তি
বিষয়শ্রেণী:ভারতীয় মহিলা ক্রিকেটার
বিষয়শ্রেণী:ভারতের মহিলা টেস্ট ক্রিকেটার
বিষয়শ্রেণী:ভারতের মহিলা একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার
বিষয়শ্রেণী:১৯৬১-এ জন্ম | শর্মিলা চক্রবর্তী |
উজ্জ্বলা ভাসুদেব নিকাম (জন্ম ১৯ জুন ১৯৫৮ সালে পুনে, মহারাষ্ট্রে) একজন সাবেক টেস্ট এবং একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার যিনি ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। তিনি ঘরোয়া লিগে মহারাষ্ট্র মহিলা ক্রিকেট দলের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। তিনি আটটি টেস্ট ম্যাচ এবং দুটি ওয়ানডে আন্তর্জাতিক খেলেছিলেন। উজ্জ্বলার জন্ম মধ্যবিত্ত পরিবারে। তার বাবা পুনে শহরে একজন পুলিশ ইন্সপেক্টর ছিলেন। তিনি সেই শহরের মডার্ন হাই স্কুলে পড়াশোনা করেছিলেন।
তথ্যসূত্র
বিষয়শ্রেণী:ভারতের মহিলা টেস্ট ক্রিকেটার
বিষয়শ্রেণী:ভারতের মহিলা একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার
বিষয়শ্রেণী:মহারাষ্ট্রের মহিলা ক্রিকেটার
বিষয়শ্রেণী:ভারতীয় মহিলা ক্রিকেটার
বিষয়শ্রেণী:পুনে থেকে আগত ক্রিকেটার
বিষয়শ্রেণী:জীবিত ব্যক্তি
বিষয়শ্রেণী:১৯৫৮-এ জন্ম | উজ্জ্বলা নিকাম |
হাসিনা বেগম ( ; জন্ম: ১ জানুয়ারি, ১৯৬১) হলেন একজন পাকিস্তানি রাজনীতিবিদ। তিনি ২০১৩ সালের মে থেকে ২০১৮ সালের মে পর্যন্ত পাঞ্জাব প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য ছিলেন।
প্রাথমিক জীবন
হাসিনা বেগম ১৯৬১ সালের ১লা জানুয়ারিতে পাকিস্তানের বাহাওয়ালপুর জন্মগ্রহণ করেছিলেন।
রাজনৈতিক জীবন
তিনি ২০১৩ সালের পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে সংরক্ষিত নারী আসনে পাকিস্তান মুসলিম লীগের (পিএমএল-এন) প্রার্থী হিসাবে পাঞ্জাব প্রাদেশিক পরিষদে র্নির্বাচিত হয়েছিলেন।
২০১৮ সালের পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে তিনি নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসনে পিএমএল-এনের প্রার্থী হিসাবে পাঞ্জাব প্রাদেশিক পরিষদে পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন।
তথ্যসূত্র
বিষয়শ্রেণী:২১শ শতাব্দীর নারী রাজনীতিবিদ
বিষয়শ্রেণী:১৯৬১-এ জন্ম
বিষয়শ্রেণী:পাঞ্জাব প্রাদেশিক পরিষদের নারী সদস্য
বিষয়শ্রেণী:জীবিত ব্যক্তি | হাসিনা বেগম |
শাহিন আশফাক ( ; জন্ম ২১ জুন, ১৯৪৯) হলেন একজন পাকিস্তানি রাজনীতিবিদ যিনি ২০০৮ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত এবং পুনরায় ২০১৩ সালের মে থেকে ২০১৮ সালের মে পর্যন্ত পাঞ্জাব প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য ছিলেন।
প্রাথমিক ও শিক্ষাজীবন
শাহিন আশফাক ১৯৪৯ সালের ২১ জুন পাকিস্তানের গুজরানওয়ালায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন।
তিনি ১৯৭৮ সালে পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন
রাজনৈতিক জীবন
তিনি ২০০৮ সালের পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে পাঞ্জাবের সংরক্ষিত নারী আসনে পাকিস্তান মুসলিম লীগের (এন) প্রার্থী হিসাবে পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে নির্বাচিত হয়েছিলেন।
তিনি ২০১৩ সালের পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে সংরক্ষিত নারী আসনে পাকিস্তান মুসলিম লীগ (এন)-এর প্রার্থী হিসাবে পাঞ্জাব প্রাদেশিক পরিষদে নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে তিনি সহযোগিতার উদ্দেশ্যে সংসদীয় সচিব হিসাবে নিযুক্ত হয়েছিলেন।
তথ্যসূত্র
বিষয়শ্রেণী:২১শ শতাব্দীর নারী রাজনীতিবিদ
বিষয়শ্রেণী:১৯৪৯-এ জন্ম
বিষয়শ্রেণী:জীবিত ব্যক্তি
বিষয়শ্রেণী:পাকিস্তান জাতীয় পরিষদ সদস্য ২০০৮-২০১৩
বিষয়শ্রেণী:পাঞ্জাব প্রাদেশিক পরিষদের নারী সদস্য | শাহিন আশফাক |
রাহিলা আনোয়ার ( ; জন্ম ২০ ফেব্রুয়ারি ১৯৫৬) হলেন একজন পাকিস্তানি রাজনীতিবিদ যিনি ২০১৩ সালের মে থেকে ২০১৮ সালের মে পর্যন্ত পাঞ্জাব প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য ছিলেন।
প্রাথমিক ও শিক্ষাজীবন
রাহিলা আনোয়ার ১৯৫৬ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি ঝিলামে জন্মগ্রহণ করেছিলেন।
তিনি প্রেজেন্টেশন কনভেন্ট হাই স্কুল ঝিলাম থেকে ম্যাট্রিকুলেশন পড়াশোনা শেষ করেছিলেন।
রাজনৈতিক জীবন
তিনি ২০১৩ পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে সংরক্ষিত নারী আসনে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের প্রার্থী হিসাবে পাঞ্জাব প্রাদেশিক পরিষদে নির্বাচিত হয়েছিলেন।
তথ্যসূত্র
বিষয়শ্রেণী:পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের রাজনীতিবিদ
বিষয়শ্রেণী:১৯৫৬-এ জন্ম
বিষয়শ্রেণী:পাঞ্জাব প্রাদেশিক পরিষদের নারী সদস্য
বিষয়শ্রেণী:জীবিত ব্যক্তি | রাহিলা আনোয়ার |
পুনর্নির্দেশ বাংলাদেশের জেলা | বাংলাদেশের জেলাসমূহ |
পুনর্নির্দেশ বৈদ্যবাটী | বৈদ্যবাটি, হুগলী |
পুনর্নির্দেশ ছাগলের জাতের তালিকা | ছাগলের প্রজাতির তালিকা |
কাম্য পাঞ্জাবী একজন ভারতীয় টেলিভিশন অভিনেত্রী। তিনি হিন্দি টেলিভিশন ধারাবাহিকে সাধারণত নেতিবাচক ভূমিকায় অভিনয় করেন। তিনি বানু মে তেরি দুলহান, মর্যাদা: লেকিন কাব তাক এবং শক্তি - অস্তিত্ব কে এহসাস কি-তে অভিনয় করে জনপ্রিয়তা লাভ করেন। তিনি ২০১৩ সালে রিয়েলিটি শো বিগ বসের প্রতিযোগী ছিলেন।
ধারাবাহিক
কেহতা হে দিল
কিউ হোতা হে পিয়ার
পিয়া কা ঘর কামাল
অস্তিত্ব এক প্রেম কাহানি
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ
বিষয়শ্রেণী:জীবিত ব্যক্তি
বিষয়শ্রেণী:ভারতীয় টেলিভিশন অভিনেত্রী
বিষয়শ্রেণী:২১শ শতাব্দীর ভারতীয় অভিনেত্রী | কাম্য পাঞ্জাবী |
আসাদুল্লা আল গালিব (জন্ম: ২৬ ডিসেম্বর ১৯৯৮) একজন বাংলাদেশী ক্রিকেটার । তিনি ২০১৯-২০ জাতীয় ক্রিকেট লিগে সিলেট বিভাগের হয়ে ৯ নভেম্বর ২০১৯ সালে প্রথম শ্রেণির আত্মপ্রকাশ করেছিলেন।
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ
বিষয়শ্রেণী:জন্মের স্থান অনুপস্থিত (জীবিত ব্যক্তি)
বিষয়শ্রেণী:সিলেট বিভাগের ক্রিকেটার
বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশী ক্রিকেটার
বিষয়শ্রেণী:জীবিত ব্যক্তি
বিষয়শ্রেণী:১৯৯৮-এ জন্ম | আসাদুল্লাহ আল গালিব |
একরূপ বেদী হলেন একটি ভারতীয় অভিনেত্রী, তিনি বিভিন্ন হিন্দি টেলিভিশন ধারাবাহিকে অভিনয় করেছেন যেমন সুহানী সি এক লাডকি, ধরমপত্নী, রব সে সোহনা ইশক, এবং বানী - ইশক দা কলমা। তিনি স্টার প্লাসের কোই লাউট কে আয়া হে ধারাবাহিকে অভিনয় করেছেন।
ব্যক্তিগত জীবন
বেদি ১৭-ই ডিসেম্বর ২০১৮ তে হার্মিত জেলির সাথে বিবাহ করেন।
ধারাবাহিক
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ
বিষয়শ্রেণী:জীবিত ব্যক্তি
বিষয়শ্রেণী:ভারতীয় টেলিভিশন অভিনেত্রী
বিষয়শ্রেণী:মুম্বইয়ের অভিনেত্রী | একরূপ বেদি |
মেকনেস গ্র্যান্ড মসজিদ মরক্কোর প্রাচীন শহর মেকনেসের প্রধান ও ঐতিহাসিক মসজিদ। এটি প্রাচীন শহরটির বৃহত্তম ও গুরুত্বপূর্ণ মসজিদ এবং প্রাচীনতম নিদর্শনগুলোর মধ্যে অন্যতম।
ইতিহাস
মরক্কোর অন্য শহরগুলোর গ্র্যান্ড মসজিদের মতো, এটি প্রাচীন শহরের কেন্দ্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক ও ধর্মীয় জেলায় অবস্থিত। শহরটির প্রধান ও ঐতিহাসিক মাদ্রাসাগুলো মসজিদের নিকটে অবস্থিত।
মসজিদটি ১২ তম শতাব্দীতে আলমোরাভিদ রাজবংশের অধীনে নির্মিত বলে মনে করা হয়। আলমোহাদ খলিফা মুহাম্মদ আল-নাসিরের (রাজত্বকাল ১১৯৯-১২১৩) অধীনে এর উল্লেখযোগ্য সংস্কার ও সম্প্রসারণ করা হয়। আলমোহাদ যুগ থেকে মসজিদটিতে ফেজের আল-কারাওইন মসজিদের গ্রেট আলমোহাদ ঝাড়বাতির অনুরূপ একটি বৃহৎ ও সুসজ্জিত তামার ঝাড়বাতি রয়েছে।
আবার মেরিনিডদের অধীনে ১৪ তম শতাব্দীতে মসজিদটি পুনঃসংস্কার করা হয়। মিনারটি ধসে পড়ে ৭ জন মুসল্লির মৃত্যু হলে পরবর্তীতে এটি মেরামত করা হয়। মেরিনিডরা বিশেষত শহরের প্রধান মাদ্রাসাগুলো তৈরি করে যেগুলো মসজিদের চারদিক জুড়ে আছে। মাদ্রাসাগুলোর মধ্যে নিকটস্থ আবু ইনানিয়া মাদ্রাসা (১৩৩৬ সালে নির্মিত) এবং সুলতান আবু আল-হাসান কর্তৃক নির্মিত দুটি মাদ্রাসা, মাদ্রাসা আল-কাদী ও মাদ্রাসা শুহুদ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। আবু আল-হাসান মসজিদে একটি গ্রন্থাগার যুক্ত করেন এবং শিক্ষকতার জন্য বেশ কয়েকজন ইসলামি পণ্ডিতের ব্যবস্থা করেন।
সর্বশেষ অ্যালৌউত সুলতানদের অধীনে আরও পুনঃসংস্কার করা হয়। মৌলে ইসমাইল (রাজত্বকাল ১৬৭২-১৭২৭) মিহরাবের অংশটি পুনর্নির্মাণ করেন এবং মসজিদটিতে মিম্বার, আনজা ও প্রাঙ্গণে ঝর্ণা যুক্ত করেন। মৌলে মোহাম্মদ বিন আবদুল্লাহ (রাজত্বকাল ১৭৫৭-১৭৯০) বর্তমান মিনারটি নির্মাণ করেন।
স্থাপত্য
মসজিদটির গঠন ও বিন্যাস ঐতিহ্যবাহী মরক্কান বা উত্তর আফ্রিকার মসজিদগুলোর অনুরূপ। এর আয়তন প্রায় ৩৫০০ বর্গমিটার। এটি একটি বিশাল অভ্যন্তরীণ প্রার্থনা কক্ষ যার মূল অংশ (প্রাঙ্গণের দক্ষিণে) ৯ টি বারান্দায় বিভক্ত যেগুলো দক্ষিণ-পূর্ব প্রাচীরের সমান্তরালে বিস্তৃত। খিলান ও কলামগুলো সমতল এবং মেঝে মাদুর দিয়ে ঢাকা। মৌলে ইসমাইলের অধীনে পুনর্নির্মাণের সময় থেকে মিহরাবটি রঙিন প্লাস্টার দিয়ে সজ্জিত। মিম্বরটিও একই সময় ধরে আছে।
মসজিদের উত্তর দিকে বৃহৎ প্রাঙ্গণের কেন্দ্রে একটি ফোয়ারা আছে। প্রাঙ্গণটি মোজাইক টালি দিয়ে বাঁধানো এবং প্রার্থনা কক্ষ ও এর খিলানগুলোর চারদিক জুড়ে বিস্তৃত। উত্তর দিকের প্রবেশপথটি মসজিদের অন্যতম প্রধান প্রবেশপথ। এর সামনের অংশটি একটি অলঙ্কৃত কাঠের পর্দা দ্বারা আচ্ছাদিত যা আনাজা নামে পরিচিত। এটি প্রাঙ্গণে প্রার্থনা করার জন্য বাইরের মিহরাব হিসেবে কাজ করে। আনাজাটি সম্পূর্ণ খোদাই করা এবং মেরিনিড যুগের আনাজাগুলোর অনুরূপ।
মসজিদের বাইরের অংশটি আশেপাশের ভবনগুলোর জন্য অস্পষ্ট। মসজিদটির ১১ টি দরজা আছে এবং পশ্চিম পাশের প্রধান প্রবেশদ্বারগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি প্রবেশদ্বার হলো বাব আল-কুতুব। এটিতে সবুজ টালিযুক্ত ছাদের পাশাপাশি একটি বৃহৎ ও লক্ষণীয় মিনার রয়েছে। বর্তমান মিনারটি অ্যালৌউত সুলতান মৌলে মোহাম্মদ বিন আবদুল্লাহর শাসনামল থেকে আছে। অন্যান্য মরক্কান মিনারগুলোর মতো এটি বর্গাকার ও দীর্ঘ এবং এর শীর্ষে একটি ছোট ও খাটো টাওয়ার রয়েছে, ফলে এই ছোট টাওয়ারটির শীর্ষে চারটি সোনালী তামার বল আছে। ছোট মিনারের সম্মুখভাগ চারটি চকচকে সবুজ টালির বেড়া দ্বারা আবৃত, যা মেকনেসের মিনারগুলোর একটি স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য। মিনারের গোড়ায় একটি দার আল-মুওয়াক্কিত বা ঐতিহ্যবাহী কক্ষ রয়েছে।
আরও দেখুন
মসজিদের তালিকা
মরক্কোর মসজিদের তালিকা
আফ্রিকার মসজিদের তালিকা
আল ফাস মসজিদ
ঔজদার বড় মসজিদ
আল-কারাওইন বিশ্ববিদ্যালয়
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ
Cityseeker-এ মেকনেস গ্র্যান্ড মসজিদ
বিষয়শ্রেণী:মরক্কোর মসজিদ
বিষয়শ্রেণী:উইকিউপাত্তে স্থানাঙ্ক আছে | মেকনেস গ্র্যান্ড মসজিদ |
জারা আবিদ (; ৪ এপ্রিল ১৯৯২ – ২২ মে ২০২০) একজন পাকিস্তানি মডেল এবং অভিনেত্রী ছিলেন। তিনি বিভিন্ন ফটোশুটের জন্য পরিচিত ছিলেন। এছাড়াও আজিম সাজ্জাদ পরিচালিত চৌধুরী চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন।
তিনি পিআইএ ফ্লাইট ৮৩০৩ বিমান দুর্ঘটনায় মারা যাওয়া যাত্রীদের একজন ছিলেন, যা ২০২০ সালের ২২ মে পাকিস্তানের করাচিতে বিধ্বস্ত হয়।
ব্যক্তিগত জীবন
জারা আবিদ ১৯৯২ সালের ৪ এপ্রিল পাঞ্জাবের লাহোরে। জন্মগ্রহণ করেন। তার বসবাস এবং বেড়ে ওঠা এবং তার পরিবারের সাথে করাচিতে। তিনি সেন্ট প্যাট্রিকের বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন এবং শো ব্যবসায়ে যাওয়ার পূর্বে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছেন।
মডেলিং কর্মজীবন
একজন ফ্যাশন আইকন হিসাবে, তিনি তার লম্বা উচ্চতা এবং ট্যানড রংয়ের জন্য পরিচিত ছিলেন যা তাকে মডেলিং শিল্পে স্ট্যান্ড আউট করতে সাহায্য করে। আবিদের মতে, যখন তিনি মডেলিং শুরু করেন তখন তিনি তার চেহারা এবং চামড়ার রঙের কারণে ভাড়া করার মতো বৈষম্যের সম্মুখীন হন। এরপরও তিনি বলেন যে তিনি তার উপায় কাজ করেছেন এবং তার পেশাগত দক্ষতা ও প্রতিভার উপর ভিত্তি করে সুযোগ পেয়েছেন। তাকে তার রংয়ের জন্য "বিস্ময়কর এবং সম্পূর্ণ ভিন্ন" হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। একজন মেকআপ শিল্পীর মতে, আবিদ সংখ্যাগরিষ্ঠ পাকিস্তানী নারীদের "ডাস্কি চামড়ার রঙ" ধারণ করেছেন যা তাকে মেকআপ শিল্পে মডেল হিসাবে কাজ করতে সাহায্য করেছে।
২০১৯ সালে হ্যালো ম্যাগ ম্যাগাজিনের জন্য সেলুনে তার একটি ফটোশুট, তিনি তার নিজের চেয়ে অনেক গাঢ় রঙের স্টাইল অনুসরণ করেন। এতে তার বিরুদ্ধে "ব্ল্যাকফেস" এবং সাংস্কৃতিক অপব্যবহারের অভিযোগ করা হয় এবং সমালোচকরা তাকে বর্ণবাদী বলে মনে করে। আবিদ ছবিগুলি তার ব্যক্তিগত ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে শেয়ার করেছেন। পোস্টগুলি ব্যাপক প্রতিক্রিয়া এবং ট্রোলিংয়ের স্বীকার হয়েছে। আবিদ তার ফটোশুটের পক্ষে বলেন যে এর উদ্দেশ্য হচ্ছে গাঢ় চামড়ার নারীদের ক্ষমতায়ন করা এবং তাদের প্রতিনিধিত্বের অভাব সম্পর্কে একটি বার্তা পাঠানো; তিনি সমাজে বিদ্যমান "বর্ণবাদ" বন্ধে আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন কেন তাকে অন্ধকার প্রোফাইল দত্তক নেওয়ার জন্য সমালোচনা করা হচ্ছে, যখন অন্য অসংখ্য ফটোশুটে তাকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে হালকা স্বরে উপস্থাপন করা হয়েছে।
যে সব ডিজাইনার ব্র্যান্ডের জন্য তিনি মডেলিং করেছেন তার মধ্যে রয়েছে সানা সাফিনাজ, ওয়াজাহাত মনসুর, আনুস আবরার, জহির আব্বাস, দীপক এবং ফাহাদ, পায়েল কিয়াল, আলকারাম, গুল আহমেদ, কায়সেরিয়া, ধনক, রং জা, জেনারেশন, রিপাবলিক উইমেন্স ওয়্যার এবং হুসেন রেহার। তিনি টেলিভিশন বিজ্ঞাপনেও অভিনয় করেছেন, যেমন জং ৪জি।
চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন
আবিদ তার অভিনয় জীবন শুরু করেন চলচ্চিত্র চৌধুরী ছবিতে অভিনয়ের মাধ্যমে, চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেছেন আজিম সাজ্জাদ এবং লিখেছেন জিশান জুনাইদ। চলচ্চিত্রটি নিহত পুলিশ কর্মকর্তা চৌধুরী আসলাম খানকে নিয়ে একটি বায়োপিক, যেখানে আবিদ একজন কলেজ ছাত্রীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন। একটি সাক্ষাৎকারে তার ভূমিকা সম্পর্কে বলতে গিয়ে আবিদ বলেন যে এটি তার বাস্তব জীবনের ব্যক্তিত্বের সাথে খুবই প্রাসঙ্গিক, তিনি যোগ করেন যে "চরিত্রটি সত্যিই শক্তিশালী এবং হ্যাঁ বলার আগে আমি দুইবার ভাবিনি। স্ক্রিপ্টটা ফোনে আমাকে বর্ণনা করা হয়েছিল এবং আমি সাথে সাথে রাজি হয়ে গেলাম।" তিনি ডিসেম্বর ২০১৮ সালে চলচ্চিত্রের জন্য শুটিং শুরু করেন। চলচ্চিত্রটি ২০২০ সালে মুক্তি পেয়েছে।
১৬ জানুয়ারি, ২০১৯ তারিখে তিনি লেট নাইট টেলিভিশন কমেডি শো মাজাক রাতে অতিথি হিসেবে উপস্থিত হন। ২০২০ সালের ২৪ মে, তার প্রথম এবং একমাত্র স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র সিক্কা শ্রদ্ধা হিসাবে তাঁর মৃত্যুর দুই দিন পরে ইউটিউবে আপলোড করা হয়েছিল। এখানে আবিদ দুটি নারী চরিত্রকে চিত্রিত করেছেন যাদের জীবন সম্পদ এবং সামাজিক মর্যাদার দিক থেকে মেরু বিপরীত; তা সত্ত্বেও, কখনও পথ অতিক্রম না করা এবং ভিন্নভাবে জীবন যাপন করা সত্ত্বেও, তারা সমাজে নারী হিসেবে একই ধরনের পরীক্ষা এবং সংগ্রাম ভাগাভাগি করে। চলচ্চিত্রটিতে সংলাপ নেই এবং সাবা কামার তৃতীয় ব্যক্তি হিসেবে ঘটনা বর্ণনা করেন।
মৃত্যু
২০২০ সালের ২২ শে মে, আবিদ পিআইএর ফ্লাইট ৮৩০৩ এর যাত্রীদের মধ্যে ছিল, যা করাচির জিন্নাহ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে চূড়ান্ত অবতরণের পথে যাওয়ার সময় বিধ্বস্ত হয়েছিল; এই বিমানে করে লাহোরে মামার শেষকৃত্যে অংশ নিয়ে তিনি শহরে ফিরে আসছিলেন বলে জানা যায়। পিআইএ দ্বারা প্রকাশিত একটি ফ্লাইট ম্যানিফেস্টের যাত্রীদের তালিকায় তার নাম দেখিয়েছে। বিমানে থাকা ৯৯ জনের মধ্যে ৯৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে, এবং তাকে বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের একজন হিসেবে রিপোর্ট করা হয়নি। তিনি লাহোরের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার সময় পোশাক ব্র্যান্ড সানা সাফিনাজ-এর জন্য মডেলিং করছিলেন। তবে কিছু প্রাথমিক রিপোর্ট দাবি করেছিলো যে তিনি দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে গিয়েছিলেন। দুর্ঘটনার পরে আবিদের ভাই মিডিয়াকে বলেছিলেন যে হাসপাতালে ভর্তি করা আহতদের মধ্যে এখনো তাকে খুঁজছিল এবং তারা কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে তারা আপডেটের অপেক্ষায় ছিল। এরপর তার ভাই এই বিষয়ে ভূয়া খবর ছড়ানো বন্ধ করার অনুরোধ করেন।
বিমান দুর্ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শ্রদ্ধাঞ্জলি আসতে শুরু করে। ফ্যাশন এবং বিনোদন শিল্পের অনেক নামী ব্যক্তিরা তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পরে শোক প্রকাশ করেছেন। আবিদ তার পোশাক এবং তার জীবনযাত্রার পছন্দের জন্য অনেক লোকের কাছ থেকে অনলাইন অপব্যবহারের শিকার হন, যার ফলে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে তার একাউন্ট নিষ্ক্রিয় করে দেওয়া হয়।
পুরস্কার এবং মনোনয়ন
২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে আবিদ চতুর্থ হাম স্টাইল পুরস্কারে "শ্রেষ্ঠ নারী মডেল" বিভাগে পুরস্কার লাভ করেন। এছাড়াও তিনি হ্যালো দ্বারা প্রকাশিত "শীর্ষ ১০০ মানুষ" শীর্ষক ম্যাগাজিনের পাকিস্তান সংস্করণে অন্তর্ভুক্ত ছিলেন।
তথ্যসূত্র
বিষয়শ্রেণী:পাকিস্তানি নারী মডেল
বিষয়শ্রেণী:লাহোরের অভিনেত্রী
বিষয়শ্রেণী:করাচির অভিনেত্রী
বিষয়শ্রেণী:২১শ শতাব্দীর পাকিস্তানি অভিনেত্রী
বিষয়শ্রেণী:২০২০-এ মৃত্যু
বিষয়শ্রেণী:১৯৯২-এ জন্ম | জারা আবিদ |
অমৃতা প্রকাশ একজন ভারতীয় চলচ্চিত্র অভিনেত্রী এবং মডেল। তিনি চার বছর বয়সে তাঁর অভিনয় জীবন শুরু করেছিলেন, এবং বলিউড এবং মালায়ালাম উভয় ছবিতে অভিনয় করেছেন। এরপর থেকে তাকে বলিউড ছবি, টিভিসি এবং টেলিভিশন রিয়েলিটি এবং ফিকশন অনুষ্ঠানে অনেকবার দেখা যায়। তাকে সর্বশেষ সোনি টিভির প্রশংসিত অনুষ্ঠান পাটিয়ালা বেবস ধারাবাহিকে ইশার চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছে।
প্রথম জীবন ও কর্মজীবন
অমৃতা মুম্বাই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাণিজ্য ও ব্যবসা স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।
অমৃতা বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে চার বছর বয়সে কর্মজীবন শুরু করেছিলেন। তার প্রথম টিভিসি ছিল কেরালার একটি স্থানীয় জুতোর সংস্থার হয়ে। এরপরে, শৈশবকালীন সময়ে তিনি রসনা, রাফেলস লেইস, গ্লুকন-ডি, ডাবর প্রভৃতি বিশিষ্ট ব্র্যান্ডের জন্য ৫০টিরও বেশি বিজ্ঞাপন করেছেন।
তিনি দীর্ঘ দুই বছরের জন্য লাইফবয় সাবান প্যাকেজিংয়ের মুখ ছিলেন। সম্প্রতি তাকে সানসিল্ক, গিটস প্রসেসড ফুডস ইত্যাদির বিজ্ঞাপনে দেখা গেছে।
৯ বছর বয়সে টেলিভিশনে একটি নাটকে গৌতমী গডগিলের ভাগ্নির চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে তাঁর অভিনয় জীবন শুরু হয়েছিল। ঠিক তারপরই তাঁকে স্টার প্লাসে প্রায় ৫ বছর ধরে বাচ্চাদের কার্টুন ফক্স কিডস-এ সঞ্চালনা করতে দেখা গিয়েছিন, বিশেষত বাচ্চাদের মধ্যে তার মিস ইন্ডিয়া চরিত্রটি অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়েছিলেন।
২০০১ অনুভব সিনহার তুমি বিন ছবিতে মূল চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি জনপ্রিয়তা লাভ করেছিলে, যেটি তাঁর প্রথম ছবি ছিল।
চলচ্চিত্র তালিকা
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ
বিষয়শ্রেণী:জীবিত ব্যক্তি
বিষয়শ্রেণী:ভারতীয় টেলিভিশন অভিনেত্রী
বিষয়শ্রেণী:মুম্বইয়ের অভিনেত্রী | অমৃতা প্রকাশ |
তাহিরা আওরঙ্গজেব ( ) হলেন একজন পাকিস্তানি রাজনীতিবিদ যিনি ২০১৮ সালের আগস্ট থেকে পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে তিনি ২০০৮ সালের মার্চ থেকে ২০১৮ সালের মে পর্যন্ত জাতীয় সংসদ সদস্য ছিলেন।
তিনি মরিয়ম আওরঙ্গজেবের মা। মি. আশরাফের সাথে তার প্রথম বিবাহ হয়েছিল। রাজনীতিতে প্রবেশের পরে তিনি তার প্রথম স্বামীকে তালাক দিয়েছিলেন এবং পিএমএল-এন দলের একজন রাজনীতিবিদকে বিয়ে করেছিলেন।
রাজনৈতিক জীবন
তিনি ২০০৮ সালের পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে পাঞ্জাবের নারীদের জন্য সংরক্ষিত একটি আসনে পাকিস্তান মুসলিম লীগ (এন) (পিএমএল-এন)-এর প্রার্থী হিসাবে পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে নির্বাচিত হয়েছিলেন।
২০১৩ সালের পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে পাঞ্জাবের নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসনে পিএমএল-এনের প্রার্থী হিসেবে তিনি জাতীয় সংসদে পুনরায় নির্বাচিত হয়েছিলেন।
তিনি ২০১৮ সালের পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে পাঞ্জাবের নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসনে পিএমএল-এনের প্রার্থী হিসাবে জাতীয় সংসদে তৃতীবারের মত নির্বাচিত হয়েছিলেন।
তথ্যসূত্র
বিষয়শ্রেণী:২১শ শতাব্দীর নারী রাজনীতিবিদ
বিষয়শ্রেণী:পাকিস্তান জাতীয় পরিষদ সদস্য ২০১৮-২০২৩
বিষয়শ্রেণী:জন্মের বছর অনুপস্থিত (জীবিত ব্যক্তি)
বিষয়শ্রেণী:পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের মহিলা সদস্য
বিষয়শ্রেণী:পাকিস্তান জাতীয় পরিষদ সদস্য ২০০৮-২০১৩
বিষয়শ্রেণী:পাকিস্তান জাতীয় পরিষদ সদস্য ২০১৩-২০১৮
বিষয়শ্রেণী:পাঞ্জাবি ব্যক্তি
বিষয়শ্রেণী:জীবিত ব্যক্তি | তাহিরা আওরঙ্গজেব |
পুনর্নির্দেশ প্রোটেস্ট্যান্ট সংস্কার | খ্রিস্টধর্ম সংস্কার-আন্দোলন |
পারভিন মাসুদ ভাট্টি ( ) হলেন একজন পাকিস্তানি রাজনীতিবিদ যিনি ২০০৮ সালের মার্চ থেকে ২০১৮ সালের মে পর্যন্ত পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের সদস্য ছিলেন।
রাজনৈতিক জীবন
তিনি ২০০২ সালে পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসনে পাকিস্তান মুসলিম লীগ (এন) এর প্রার্থী হিসাবে পাঞ্জাব প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।
তিনি ২০০৮ সালের পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে পাঞ্জাবের নারীদের জন্য সংরক্ষিত একটি আসনে পাকিস্তান মুসলিম লীগ (এন) এর প্রার্থী হিসাবে পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে নির্বাচিত হয়েছিলেন।
২০১৩ সালের পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে পাঞ্জাবের নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসনে পাকিস্তান মুসলিম লীগের (এন) প্রার্থী হিসাবে তিনি পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে পুনরায় নির্বাচিত হয়েছিলেন।
তথ্যসূত্র
বিষয়শ্রেণী:২১শ শতাব্দীর নারী রাজনীতিবিদ
বিষয়শ্রেণী:জন্মের বছর অনুপস্থিত (জীবিত ব্যক্তি)
বিষয়শ্রেণী:পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের মহিলা সদস্য
বিষয়শ্রেণী:পাকিস্তান জাতীয় পরিষদ সদস্য ২০০৮-২০১৩
বিষয়শ্রেণী:পাকিস্তান জাতীয় পরিষদ সদস্য ২০১৩-২০১৮
বিষয়শ্রেণী:পাঞ্জাবি ব্যক্তি
বিষয়শ্রেণী:পাকিস্তান মুসলিম লীগের (এন) রাজনীতিবিদ
বিষয়শ্রেণী:জীবিত ব্যক্তি | পারভিন মাসুদ ভাট্টি |
জারতাজ গুল ( ) হলেন একজন পাকিস্তানি রাজনীতিবিদ যিনি বর্তমানে ২০১৮ সালের ৫ অক্টোবর থেকে পাকিস্তানের জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বরত রয়েছেন। তিনি ২০১৮ সালের আগস্ট থেকে পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের সদস্য হিসেবে যুক্ত রয়েছেন।
প্রাথমিক জীবন এবং শিক্ষা
জারতাজ গুল উত্তর ওয়াজিরিস্তানের, তিনি ১৯৮৪ সালের ১৭ অক্টোবরে খাইবার পাখতুনখোয়ায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তিনি ডাব্লিউএপিডিএ-র (বা ওয়াপদা) প্রধান প্রকৌশলী ওয়াজির আহমদ জাইয়ের কন্যা এবং ওয়াজির উপজাতির অন্তর্ভুক্ত।
পরিবার নিয়ে লাহোরে চলে আসার আগে তিনি বান্নু ও মিরামশাহে তার প্রাথমিক শিক্ষা পেয়েছিলেন। তিনি লাহোরের কুইন মেরি কলেজ থেকে স্নাতকোত্তর এবং তারপরে ন্যাশনাল কলেজ অব আর্টস থেকে স্নাতকোত্তর পড়াশোনা সম্পন্ন করেছিলেন। তিনি ন্যাশনাল কলেজ অফ আর্টসে টেক্সটাইল ডিজাইনিং বিষয়েও অধ্যয়ন করেছেন।
পড়ালেখা শেষ করার পর ২০০৫ সালে তিনি পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফে (পিটিআই) যোগ দিয়েছিলেন এবং ইনসাফ স্টুডেন্ট ফোরামের একজন স্বেচ্ছাসেবক হয়ে ওঠেছিলেন।
২০১০ সালে বিয়ে করার পরে তিনি ডেরা গাজি খানে চলে গিয়েছিলেন।
রাজনৈতিক জীবন
জারতাজ গুল ২০১৩ সালের পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে এনএ-১৭২ (ডেরা গাজি খান -২) নির্বাচনী অঞ্চল থেকে পিটিআইয়ের প্রার্থী হিসাবে পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের আসনে প্রার্থী হয়েছিলেন। তবে তখন তিনি পরাজিত হয়েছিলেন। তিনি ৩৮,৬৪৩টি ভোট পেয়ে হাফিজ আবদুল করিমের কাছে আসনটি হেরেছিলেন।
তিনি ২০১৩ সালের পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে এনএ-১৯১ (ডেরা গাজি খান-৩) থেকে পিটিআইয়ের প্রার্থী হিসাবে জাতীয় পরিষদে নির্বাচিত হয়েছিলেন।
৫ অক্টোবর ২০১৮ তে তিনি প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সরকারের জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী হিসাবে নিযুক্ত হয়েছেন।
তথ্যসূত্র
বিষয়শ্রেণী:পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের মহিলা সদস্য
বিষয়শ্রেণী:১৯৮৪-এ জন্ম
বিষয়শ্রেণী:পাকিস্তান জাতীয় পরিষদ সদস্য ২০১৮-২০২৩
বিষয়শ্রেণী:জীবিত ব্যক্তি | জারতাজ গুল |
পুনর্নির্দেশ ল্যাংড়া | লেংড়া |
স্টেফান কফি আম্ব্রোজিউস (, ; জন্ম: ১৮ ডিসেম্বর ১৯৯৮; স্টেফান আম্ব্রোজিউস নামে সুপরিচিত) হলেন একজন জার্মান পেশাদার ফুটবল খেলোয়াড়। তিনি বর্তমানে জার্মানির পেশাদার ফুটবল লীগের দ্বিতীয় স্তর ২. বুন্দেসলিগার ক্লাব হামবুর্গার এবং জার্মানি অনূর্ধ্ব-২১ দলের হয়ে একজন রক্ষণভাগের খেলোয়াড় হিসেবে খেলেন। তিনি মূলত একজন কেন্দ্রীয় রক্ষণভাগের খেলোয়াড় হিসেবে খেললেও মাঝেমধ্যে রক্ষণাত্মক মধ্যমাঠের খেলোয়াড় হিসেবে খেলে থাকেন।
জার্মান ফুটবল ক্লাব আইনিংকাইট ভিলহেমসবুর্গের যুব পর্যায়ের হয়ে খেলার মাধ্যমে আম্ব্রোজিউস ফুটবল জগতে প্রবেশ করেছেন এবং পরবর্তীকালে ভিলহেমসবুর্গ, জাংকট পাওলি এবং হামবুর্গারের যুব দলের হয়ে খেলার মাধ্যমে তিনি ফুটবল খেলায় বিকশিত হয়েছেন। ২০১৭–১৮ মৌসুমে, জার্মান ক্লাব হামবুর্গার ২-এর হয়ে খেলার মাধ্যমে তিনি তার জ্যেষ্ঠ পর্যায়ের খেলোয়াড়ি জীবন শুরু করেছেন, যেখানে তিনি ৩ মৌসুম অতিবাহিত করেছেন; হামবুর্গার ২-এর হয়ে তিনি ৫১ ম্যাচে ১টি গোল করেছেন। হামবুর্গার ২-এর হয়ে খেলাকালীন ২০১৭–১৮ মৌসুমে তিনি হামবুর্গারের মূল দলের হয়ে অভিষেক করেছেন।
২০২০ সালে, আম্ব্রোজিউস জার্মানি অনূর্ধ্ব-২১ দলের হয়ে জার্মানির বয়সভিত্তিক পর্যায়ে অভিষেক করেছিলেন।
প্রারম্ভিক জীবন
স্টেফান কফি আম্ব্রোজিউস ১৯৯৮ সালের ১৮ই ডিসেম্বর তারিখে জার্মানির হামবুর্গে জন্মগ্রহণ করেছেন এবং সেখানেই তার শৈশব অতিবাহিত করেছেন। তার বাবা-মা উভয়েই ঘানায়ীয় বংশোদ্ভূত।
আন্তর্জাতিক ফুটবল
আম্ব্রোজিউস জার্মানি অনূর্ধ্ব-২১ দলের হয়ে খেলার মাধ্যমে জার্মানির প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ২০২০ সালের ১২ই নভেম্বর তারিখে তিনি স্লোভেনিয়া অনূর্ধ্ব-২১ দলের বিরুদ্ধে ম্যাচে জার্মানি অনূর্ধ্ব-২১ দলের হয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অভিষেক করেছেন। তিনি ২০২১ উয়েফা ইউরোপীয় অনূর্ধ্ব-২১ চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য ২০২১ সালের মার্চ মাসে প্রকাশিত ২৩ সদস্যের জার্মানি অনূর্ধ্ব-২১ দলে স্থান পেয়েছেন।
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ
বিষয়শ্রেণী:১৯৯৮-এ জন্ম
বিষয়শ্রেণী:জীবিত ব্যক্তি
বিষয়শ্রেণী:জার্মান ফুটবলার
বিষয়শ্রেণী:ফুটবল ডিফেন্ডার
বিষয়শ্রেণী:রেগিওনালিগা খেলোয়াড়
বিষয়শ্রেণী:বুন্দেসলিগার খেলোয়াড়
বিষয়শ্রেণী:ফুটবল ক্লাব জাংকট পাওলির খেলোয়াড়
বিষয়শ্রেণী:হামবুর্গার স্পোর্টস ক্লাব ২-এর খেলোয়াড়
বিষয়শ্রেণী:হামবুর্গার স্পোর্টস ক্লাবের খেলোয়াড়
বিষয়শ্রেণী:জার্মানির আন্তর্জাতিক যুব ফুটবলার
বিষয়শ্রেণী:জার্মানি অনূর্ধ্ব-২১ আন্তর্জাতিক ফুটবলার | স্টেফান আম্ব্রোজিউস |
মালিক ফে তিয়াউ (, ; জন্ম: ৮ আগস্ট ২০০১; মালিক তিয়াউ নামে সুপরিচিত) হলেন একজন জার্মান পেশাদার ফুটবল খেলোয়াড়। তিনি বর্তমানে জার্মানির পেশাদার ফুটবল লীগের শীর্ষ স্তর বুন্দেসলিগার ক্লাব শালকে ০৪ এবং জার্মানি অনূর্ধ্ব-২১ দলের হয়ে একজন রক্ষণভাগের খেলোয়াড় হিসেবে খেলেন। তিনি মূলত একজন কেন্দ্রীয় রক্ষণভাগের খেলোয়াড় হিসেবে খেললেও মাঝেমধ্যে রক্ষণাত্মক মধ্যমাঠের খেলোয়াড় হিসেবে খেলে থাকেন।
২০০৬–০৭ মৌসুমে, জার্মান ফুটবল ক্লাব কালকুম-ভিটলায়েরের যুব পর্যায়ের হয়ে খেলার মাধ্যমে তিয়াউ ফুটবল জগতে প্রবেশ করেছেন এবং পরবর্তীকালে ফর্টুনা ডুসেলডর্ফ, বায়ার লেভারকুজেন, বরুসিয়া মনশেনগ্লাডবাখ এবং শালকে ০৪-এর যুব দলের হয়ে খেলার মাধ্যমে তিনি ফুটবল খেলায় বিকশিত হয়েছেন। ২০১৯–২০ মৌসুমে, জার্মান ক্লাব শালকে ০৪-এর হয়ে খেলার মাধ্যমে তিনি তার জ্যেষ্ঠ পর্যায়ের খেলোয়াড়ি জীবন শুরু করেছেন, এর পরবর্তী মৌসুমে শালকে ০৪ ২-এর অভিষেক করেছেন।
প্রারম্ভিক জীবন
মালিক ফে তিয়াউ ২০০১ সালের ৮ই আগস্ট তারিখে জার্মানির ডুসেলডর্ফে জন্মগ্রহণ করেছেন এবং সেখানেই তার শৈশব অতিবাহিত করেছেন।
আন্তর্জাতিক ফুটবল
মালিক তিয়াউ ২০২১ উয়েফা ইউরোপীয় অনূর্ধ্ব-২১ চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য ২০২১ সালের মার্চ মাসে প্রকাশিত ২৩ সদস্যের জার্মানি অনূর্ধ্ব-২১ দলে স্থান পেয়েছেন।
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ
বিষয়শ্রেণী:২০০১-এ জন্ম
বিষয়শ্রেণী:জীবিত ব্যক্তি
বিষয়শ্রেণী:জার্মান ফুটবলার
বিষয়শ্রেণী:ফুটবল ডিফেন্ডার
বিষয়শ্রেণী:বুন্দেসলিগার খেলোয়াড়
বিষয়শ্রেণী:ফুটবল ক্লাব শালকে ০৪-এর খেলোয়াড়
বিষয়শ্রেণী:ফুটবল ক্লাব শালকে ০৪ ২-এর খেলোয়াড় | মালিক তিয়াউ |
মুসারাত রফিক মেহসের ( ) হলেন একজন পাকিস্তানি রাজনীতিবিদ যিনি ২০১৮ সালের আগস্ট থেকে পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের সদস্য। এর আগে তিনি ২০১৩ সালের জুন থেকে ২০১৮ সালের মে পর্যন্ত জাতীয় সংসদ সদস্য ছিলেন।
রাজনৈতিক জীবন
মুসারাত রফিক মেহসের ২০১৩ সালের পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে সিন্ধু অঞ্চল থেকে সংরক্ষিত নারী আসনে পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) প্রার্থী হিসাবে পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে নির্বাচিত হয়েছিলেন।
২০১৮ সালের পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে তিনি সিন্ধু থেকে নারীদের জন্য সংরক্ষিত একটি আসনে পিপিপির প্রার্থী হিসাবে জাতীয় সংসদে পুনরায় নির্বাচিত হয়েছিলেন।
তথ্যসূত্র
বিষয়শ্রেণী:২১শ শতাব্দীর নারী রাজনীতিবিদ
বিষয়শ্রেণী:পাকিস্তান জাতীয় পরিষদ সদস্য ২০১৮-২০২৩
বিষয়শ্রেণী:জন্মের বছর অনুপস্থিত (জীবিত ব্যক্তি)
বিষয়শ্রেণী:পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের মহিলা সদস্য
বিষয়শ্রেণী:পাকিস্তান জাতীয় পরিষদ সদস্য ২০১৩-২০১৮
বিষয়শ্রেণী:সিন্ধি ব্যক্তি
বিষয়শ্রেণী:জীবিত ব্যক্তি | মুসারাত রফিক মেহসের |
মীরা দেওস্থলে (জন্ম: ১৬-ই নভেম্বর ১৯৯৫) একজন টেলিভিশন অভিনেত্রী। যিনি কালার্স টিভি তে উড়ান ধারাবাহিকে চাকর চরিত্রে অভিনয় করার জন্যে বিখ্যাত।
প্রথম জীবন
১৯৯৫ সালের ১৬ই নভেম্বর গুজরাটের বড়োদরায় দেওস্থলের জন্ম । স্কুলে থাকাকালীন তিনি রাজ্য-স্তরের বাস্কেটবল খেলোয়াড় ছিলেন এবং খেলাধুলায় মনোনিবেশ করেছিলেন। পরে তাঁর অভিনেত্রী হওয়ার জন্যে আগ্রহ বাড়তে থাকলে তিনি তাঁর মায়ের সাথে মুম্বাই চলে আসেন।
অভিনয় জীবন
দেওস্থলে কালার্স টিভির শশুরাল সিমার কা ধারাবাহিকে প্রিয়া চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে তাঁর অভিনয় জীবন শুরু করেন। এরপর তিনি দিল্লি ওয়ালী ঠাকুর গার্লস ধারাবাহিকে ইসু নামক চরিত্রে অভিনয় করেন।
২০১৬ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত তিনি কালার্স টিভির উড়ান ধারাবাহিকে চাকর চরিত্রে অভিনয় করেন। তিনি ২০১৯ সালের মার্চ মাসে ধারাবাহিকটি ছেড়ে চলে আসেন এবিং তার চরিত্রে তোরাল রাসপুত্র অভিনয় করতে শুরু করেন।
২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মনে দেওস্থলে কালার্স টিভিতে নিমিশা টানেজা-র বিপরীতে বিদ্যা চরিত্রে অভিনয় করতে শুরু করেন। ধারাবাহিকটি ২০২০ সালের এপ্রিল মাসে শেষ হয়ে যায়।
ধারাবাহিক
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ
বিষয়শ্রেণী:জীবিত ব্যক্তি
বিষয়শ্রেণী:ভারতীয় টেলিভিশন অভিনেত্রী
বিষয়শ্রেণী:মুম্বইয়ের অভিনেত্রী | মীরা দেওস্থলে |
সাবিহা নাজির ( ) হলেন একজন পাকিস্তানি রাজনীতিবিদ যিনি ২০১৩ সালের জুন থেকে ২০১৮ সালের মে পর্যন্ত পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের সদস্য ছিলেন।
শিক্ষা ও রাজনৈতিক জীবন
সাবিহা নাজির সমাজকর্মে স্নাতকোত্তর (এমএ) ডিগ্রি করেছিলেন।
তিনি ২০১৩ সালের পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে পাঞ্জাবের নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসনে পাকিস্তান মুসলিম লীগ (এন)-এর প্রার্থী হিসাবে পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে নির্বাচিত হয়েছিলেন।
তথ্যসূত্র
বিষয়শ্রেণী:২১শ শতাব্দীর নারী রাজনীতিবিদ
বিষয়শ্রেণী:জন্মের বছর অনুপস্থিত (জীবিত ব্যক্তি)
বিষয়শ্রেণী:পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের মহিলা সদস্য
বিষয়শ্রেণী:পাকিস্তান জাতীয় পরিষদ সদস্য ২০১৩-২০১৮
বিষয়শ্রেণী:পাঞ্জাবি ব্যক্তি
বিষয়শ্রেণী:পাকিস্তান মুসলিম লীগের (এন) রাজনীতিবিদ
বিষয়শ্রেণী:জীবিত ব্যক্তি | সাবিহা নাজির |
পুনর্নির্দেশ ইলঞ্জিতার মেলম | ইলানজিতারা মেলাম |
গঞ্জাম কেওড়া রুহ ( স্ক্রু পাইন, পান্ডানাস ফ্যাসিকুলারিস ) একটি উদ্ভিদ যা মূলত ভারতের ওড়িশা রাজ্যের গঞ্জাম জেলায় স্থানীয়। কেওড়া ভারতের ভৌগলিক সূচক হিসাবে চিহ্নিত হয়েছে।
এদেরকে ঋষিকুল্য নদীর উত্তর ও উপর বাহুদার দক্ষিনে পাওয়া যায়। এটি পুরুষ পুষ্পবৃক্ষের কারণে একটি অর্থনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ প্রজাতি। এই উদ্ভিদ থেকে কেওড়া আতর, কেওড়া জল এবং কেওদা তেল (রোহ কেওড়া) সহ সুগন্ধি পণ্যগুলি পাওয়া যায়। ওড়িশার গঞ্জাম জেলা ভারতের কেওড়া সারের প্রায় ৮৫-৯০% সরবরাহ করে। কেওড়া ৪৫ কিমি x১৫ কিমিতে বঙ্গোপসাগর বরাবর উপকূলীয় বেল্ট অঞ্চলে জন্মায়।
গঞ্জামে কেওড়া শিল্প
গঞ্জামের কেওড়া শিল্প স্থানীয় কৃষকদের ৪.৫-৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (৩০০-৪০০ মিলিয়ন ভারতীয় টাকা) আয় প্রদান করে। জেলার প্রায় ২০০ গ্রাম ও গ্রামাঞ্চলে ক্ষুদ্র শিল্পে প্রায় ১৪০ টি ঐতিহ্যবাহী পাতন ইউনিট পরিচালিত হয়, বার্ষিক এক মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের প্রায় ৩৫ মিলিয়ন ফুল (৩,৫০০ টন) উৎপাদন করে।
ওড়িশায় প্রায় ২০০ কিলো কেওড়া রুহ প্রতি বছর প্রতি কেজিতে ৭০০০ ডলার ব্যয়ে প্রস্তুত হয়। ভালো আতরের জন্য ১৫০০- ১৮০০$ ব্যয় হয়। আতরটিতে কেওড়ার গড়ে প্রায় ৩-৫% সংমিশ্রণ রয়েছে, বাকি অংশটি চন্দন কাঠের তেল। যখন রুহ কেওদা তৈরি হচ্ছে ৫ টি বিভিন্ন স্টিলে ৬০০ টি করে ফুল দেওয়া হয়। এক ব্যাচের ফুলের উপর তিনটি ডিস্টিলেশন করা হয়। এর অর্থ প্রতিটি ডিগ্রিতে তিনটি রিসিভার নির্ধারিত হয়। প্রথম পাতন (আগারি) ১০-১২ কিলো সুগন্ধযুক্ত জল দেয়, দ্বিতীয় পাতনও (পিচারি) একই ফলন দেয়। তৃতীয় (টিগারি) তরল প্যারাফিনটি কখনও কখনও সস্তা মানের "আতর" প্রস্তুত করার জন্য রাখা হয় বা সস্তায় হাইড্রোজল তৈরির জন্য কেবল পাতিত পাত্রে রাখা হয়। রুহ তৈরির জন্য কেবল প্রথম দুটি ডিস্টিল্ট (আগারি এবং পিচারি) রাখা হয়। এগুলি শীতল করা হয় এবং সন্ধ্যায় সুগন্ধযুক্ত জল এক ডিগ্রিতে ঢেলে দেওয়া হয়। এটি অবিলম্বে সিল করা হয় এবং বাঁশের পাইপটি রিসিভারের সাথে সংযুক্ত থাকে। ডিগ্রিকে খুব মৃদু তাপ দেওয়া হয় এবং রিসিভারে প্রায় ৫-৬ কিলো ডিস্টিলিট সংগ্রহ করা হয়। এই সময়ের মধ্যে রিসিভারটি অবশ্যই খুব শীতল রাখতে হবে এবং এটিকে নিয়মিত ঘোরানো হয় যখন চার থেকে পাঁচবার তাজা জল যুক্ত করা হয়। এটি ৫-৬ কিলো ডিস্টিলেট উৎপাদন করতে প্রায় ১ ঘন্টা সময় নেয়। রিসিভারটি তখন কাঠের স্ট্যান্ডে আনুভূমিকভাবে ঝুলানো হয়। জল পৃথক করা হয় এবং একটি বিশেষ পৃথককারী ফানেল দ্বারা তেল সংগ্রহ করা হয়। বাকি সমস্ত হাইড্রোজল পরের ব্যাচ রুহ তৈরিতে ব্যবহৃত হয় যা পরদিন শুরু হয়। প্রায় এক হাজার ফুল (প্রায় ৩৭০ পাউন্ড) ফুল রুহ কেওড়ার এক আউন্স উৎপাদন করে। রুহ খুব শক্তিশালী প্রকৃ্তির হয়। এটিতে তেলের বেশ কয়েকটি মূল্যবান শীর্ষ নোট রয়েছে যা এমনকি কার্যকরভাবে ধরাও যায় না।
প্রাথমিক বা গৌণ পণ্য হিসাবে উৎপাদিত সুগন্ধযুক্ত হাইড্রোজলের অনেকগুলি ব্যবহার রয়েছে। সিরাপ, মিষ্টি, সিরাপ এবং সফট ড্রিঙ্কস সহ বিভিন্ন খাবারের আইটেম প্রস্তুত করার ক্ষেত্রে এটি অন্যতম স্বাদযুক্ত এজেন্ট হিসেবে ব্যবহৃত হয়। " পান্ডানাস জল উত্তর ভারতে জনপ্রিয় এবং মূলত দুধ এবং চিনি জাতীয় সাধারণ উপাদান থেকে ভারতীয়রা প্রস্তুত করতে পারেন। দুর্দান্ত মিষ্টি স্বাদে: রসগোলা (সিরাপে রান্না করা পনিরের বল), গোলপ জামুন (ভাজা পনিরের বল সিরাপের সাথে পরিবেশন করা হয়) এবং রসমালাই (কনডেন্সড মিল্কে পনিরের বল); দ্বিতীয়টি কখনও কখনও এর পরিবর্তে জাফরান দিয়ে তৈরি করা হয়। আর একটি ব্যবহার হল উচ্চ সুগন্ধযুক্ত মোগল রান্নার ( বিরিয়ানি) জন্য বিখ্যাত।
এটি লক্ষ করা গুরুত্বপূর্ণ যে স্থানীয় বাজারে খুব কমই একটি আসল কেওড়া রুহ, আতর বা হাইড্রসোল পাওয়া যায়। কেওড়া তেলের প্রধান উপাদান হ'ল বিটা-ফেনাইলিথিল অ্যালকোহলের মিথাইল ইথার (৬০-৮০%) যা ফুলের বৈশিষ্ট্যযুক্ত সুবাস দেয়। এই সুগন্ধযুক্ত উপাদানটি ভারতে বৃহৎ আকারে সংশ্লেষিত হয় এবং এটি তথাকথিত কেওড়া পণ্য উৎপাদন করতে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। এই একক উপাদানটি সুগন্ধি সম্পর্কিত কিছু জ্ঞানযুক্ত যে কোনও ব্যক্তির দ্বারা সহজেই সনাক্তযোগ্য তবে ভারতে সস্তা পণ্যটি বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়। প্রাকৃতিক এবং সিন্থেটিক পণ্যগুলির মধ্যে পার্থক্য সম্পর্কে এখনও কোনো সচেতনতা নেই। আসল তেল, উপরে উল্লিখিত উপাদানটির একটি উচ্চ শতাংশ রয়েছে এমন একটি আরও অনেক সংখ্যক সুগন্ধযুক্ত অণু রয়েছে যা সত্যই তেলটিকে সম্পূর্ণ বৈশিষ্ট্য দেয়। একটি সাধারণ জিসি / এমএস সহজেই এই ভেজাল সনাক্ত করতে পারে।
তথ্যসূত্র | গঞ্জাম কেওড়া রুহ |
বিষয়শ্রেণী:ক্রীড়া ভাষ্যকার
বিষয়শ্রেণী:বিবিসি স্পোর্টসের উপস্থাপক ও প্রতিবেদক
বিষয়শ্রেণী:১৯৯৩-এ মৃত্যু
বিষয়শ্রেণী:১৯৪৭-এ জন্ম | জেমস হান্ট |
জেনারেশন জেডঃ
১৯৯০ এর শেষের দিকে এবং ২০০০ এর শুরুর দিকের প্রজন্মকে জেনারেশন জেড নামে ডাকা হয়। ১৯৯৭ থেকে ২০১২ পর্যন্ত জন্ম নেওয়া সবাই জেনারেশন জেড এর সদস্য। ২০২০ সালের হিসাবে জেনারেশন জেড এর জ্যেষ্ঠ সদস্যের বয়স হল ২৩ আর সর্বকনিষ্ঠজনের বয়স এবার ৮ হবে। এই প্রজন্মের কিছু অংশ পড়ালেখা শেষ করেছে এবং কিছু অংশ কাজ করা শুরু করেছে।
এই জেনারেশনকে Gen z, iGeneration, Gen Tech, Gen Wii, Homeland Generation, Net Gen, Digital Natives, Plurals, and Zoomers নামেও ডাকা হয়। কারন, এই প্রজন্মটি ইন্টারনেট এবং সোশ্যাল মিডিয়ার সাথে বড় হয়েছে । এবং এরা হচ্ছে সত্যিকারের DIGITAL NATIVEদের প্রথম প্রজন্ম। জেনারেশন জেড প্রযুক্তি, ইন্টারনেট এবং সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ে বেড়ে ওঠে, যা তাদের মাঝে মাঝে প্রযুক্তি-আসক্ত, অসাম্প্রদায়িক বা "সামাজিক ন্যায়বিচারের যোদ্ধা" হিসাবে দাঁড় করায়। তাদের জীবনের প্রথম দিক থেকেই তারা ইন্টারনেট, সোশ্যাল নেটওয়ার্ক এবং মোবাইল সিস্টেমে প্রকাশ করেছে। যার ফলে এই hypercognitive জেনারেশন বিভিন্ন তথ্য, তথ্যের উৎস সংগ্রহ, ক্রস-রেফারেন্স এবং virtual ও offline জীবনের সাথে একইরকমভাবে স্বাচ্ছন্দ্যময়।
পুরো বিশ্বে জেনারেশন জেডের প্রভাব প্রসারিত হচ্ছে।"প্রভাবশালী" (influencer) শব্দটি তৈরির অনেক আগে, তরুণরা এর প্রবণতা তৈরি করে এবং ব্যাখ্যা দিয়ে সেই সামাজিক ভূমিকা পালন করেছিল। এখন নতুন প্রজন্মের প্রভাবশালীরা হবেন Gen Zer’s বা জেনারেশন জেড এর সদস্যরা। বর্তমানে বিশ্বজুড়ে তরুণ-তরুণীদের সিংহভাগ হচ্ছে জেনারেশন জেড। এদের বয়স সীমা ৭ থেকে ২২ বছরের মধ্যে। যুক্তরাষ্ট্রে এই প্রজন্মের তরুণ-তরুণীর সংখ্যা ৬ কোটি ১০ লক্ষ যা পুরো জনসংখ্যার 27%। তারা এমন একটা সময়ে জন্মগ্রহণ করেছে যখন বিশ্বজুড়ে পুরোদমে ইন্টারনেট ব্যবহার শুরু হয়ে গিয়েছে। তাদের বয়স যখন দশ তখন থেকে তারা স্মার্টফোন সম্পর্কে জানে এবং ব্যবহার করে আসছে। এরা সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে অভ্যস্ত। জেনারেশন ওয়াই অর্থাৎ মিলেনিয়াল থেকে তারা আলাদা এই কারণে মিলেনিয়ালরা বড় হবার পরে ইন্টারনেট এর শুরুটা দেখেছে। তারা এর সাথে পরিচিত হয়েছে। কিন্তু জেনারেশন জেড একদম বাচ্চা বয়স থেকে ইন্টারনেট ব্যবহার করে বেড়ে উঠেছে। জেনারেশন জেড হচ্ছে ইতিহাসে সবচেয়ে কনিষ্ঠ, সবচেয়ে নৃতাত্ত্বিক-বৈচিত্র্যময় এবং বৃহত্তম প্রজন্ম।
জেনারেশন জেড তাদের বাবা মায়ের মতো কেনাকাটা করে না। তাদের চিন্তা-ভাবনা আলাদা। জেনারেশন জেড ব্রান্ড, লেবেল, কর্পোরেশন এগুলোকে গুরুত্ব দেয় না। তাদের চিন্তা থাকে নিজেদের মতো করে কিছু করা। প্রায় অর্ধেক জেনারেশন জেড প্রজন্মের তরুণ-তরুণীরা ব্যবসা করার সুযোগ পেলে বা নিজের মতো কিছু করার সুযোগ পেলে চাকরি ছেড়ে দেবে।বিভিন্ন ব্রান্ড বা প্রতিষ্ঠান যখন বিভিন্ন ধরণের কর্মকান্ড প্রমোট করে সেটা তাদের আকৃষ্ট করে। তারা তখন বেশি টাকা দিয়ে সেই ব্রান্ডের পণ্য ক্রয় করে থাকে। যেমন- বাংলাদেশে ব্রান্ডগুলো অনেক সময় দুঃস্থদের সাহায্য করার বিভিন্ন প্রজেক্ট হাতে নেয় বা কোন প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত হয়ে তাদের সেই প্রজেক্ট প্রমোশন করে থাকে। ব্যাপারটা এরকম।
তারা টিভিতে পণ্য ও সেবার বিজ্ঞাপন দেখে অভ্যস্ত না। তারা সেকেন্ডহ্যান্ড জিনিস কিনে ব্যবহার করতে অভ্যস্ত, ইন্টারনেট ইনফ্লুয়েন্সার তাদের জন্যে বিশাল গুরুত্বপূর্ণ। তারা পণ্য বা সেবা ক্রয়ের ক্ষেত্রে তাদের বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজনের মতামতকে গুরুত্ব দেয় যাকে ইংরেজিতে Word of Mouth Marketing বলা হয়ে থাকে।
জরিপের উপর ভিত্তি করে জেনারেশন জেড এর আচরণগুলি একটি উপাদানে নোঙ্গর করে আর তা হল: সত্যের জন্য এই প্রজন্মের অনুসন্ধান।
Generation Z এর কিছু বৈশিষ্ট্য হচ্ছেঃ
‘Undefined ID’: Expressing individual truth. স্বতন্ত্র সত্য প্রকাশ করা।
‘Communaholic’: Connecting to different truths. বিভিন্ন সত্যের সাথে সংযোগ স্থাপন।
‘Dialoguer’: Understanding different truths. বিভিন্ন সত্য বোঝা।
‘Realistic’: Unveiling the truth behind all things. সমস্ত কিছুর পিছনে সত্য উন্মোচন করা।
1. তাদের মিডিয়া ব্যবহারের অভ্যাসগুলি আগের যেকোনো প্রজন্মের পৃথক।এমনকি তাদের পূর্ববর্তী প্রজন্মের থেকেও।
2. They prefer cool products over cool experiences.
3. উদ্যোগী এবং প্রযুক্তি-বুদ্ধি দুটি জেনারেশন জেড বৈশিষ্ট্য।
4.তারা প্রচারাভিযানের সাড়া দেয়।
5. They want to co-create culture—and they do.
বয়স্ক প্রজন্মগুলো মনে করে সামাজিক গণমাধ্যম, বাইরে বেড়াতে যাওয়া এবং ইন্টারনেটই ৮-২৩ বছর বয়সী জেড প্রজন্মের সদস্যদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। অথচ নিউজবাইটের গবেষণায় দেখা গেছে, তাদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো- পরিবার, শিক্ষা এবং জীবন সঙ্গী বা সঙ্গিনী; এই বিষয়গুলো।
বয়স্করা এদের ভবিষ্যতের ব্যাপারে নৈরাশ্যবাদী হলেও এরা নিজেদের ভবিষ্যতের ব্যাপারে খুবই আশাবাদী। এদের ৫৯ শতাংশই মনে করে তাদের ভবিষ্যত জীবন খুব ভালো হবে।
আর মাত্র ৪১% মনে করে তাদের ভবিষ্যত খারাপ হবে। অথচ বেবি বুমারস প্রজন্মের ৫৪% নিজেদের ভবিষ্যত নিয়ে হতাশ ছিলেন।
Gen Z'er দের বেশিরভাগের বাবা-মা'ই Generation X বা slackers, cynical, demographic দল নামে পরিচিত । যাদের জন্ম ১৯৬৫ থেকে ১৯৮০ সালের মধ্যে
বিষয়শ্রেণী:জনপরিসংখ্যান
বিষয়শ্রেণী:২১শ শতাব্দী
বিষয়শ্রেণী:২০শ শতাব্দী | প্রজন্ম জেড |
ড. ফরিদা আহমেদ সিদ্দিকি ( ১৯৭৩ - আগস্ট ২০১৩) ছিলেন একজন পাকিস্তানি ধর্মীয় পণ্ডিত। তিনি পাকিস্তানের জাতীয় সংসদ সদস্যও ছিলেন।
জন্ম ও শিক্ষাজীবন
ফরিদা সিদ্দিকি ভারতের মিরাট শহরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তিনি ১৯৫৮ সালে করাচি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন। পাকিস্তানি ইসলামি পণ্ডিত, অতীন্দ্রিবাদী, পুর্নজাগরণবাদী ও রাজনীতিবিদ মাওলানা শাহ আহমদ নুরানি ছিলেন তার বড় ভাই।
কর্মজীবন
তিনি উইমেন ইসলামিক মিশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এবং আঞ্জুমান-ই-তাবলীগ-ই-ইসলাম এবং ইসলামিক কল্যাণে মিশনের সদস্য ছিলেন। তিনি বেশ কয়েকটি ধর্মীয় গ্রন্থও রচনা করেছিলেন। তিনি পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের প্রাক্তন সদস্য এবং মৃত্যুর পূর্বে তিনি ইসলামী আদর্শ পরিষদের একমাত্র কার্যরত নারী ছিলেন।
মৃত্যু
২০১৩ সালের আগস্টে দীর্ঘ অসুস্থতার পরে তিনি করাচির একটি বেসরকারি হাসপাতালে মারা গিয়েছিলেন। তিনি দুইটি ছেলে ও একটি মেয়ে রেখে গিয়েছেন।
তথ্যসূত্র
বিষয়শ্রেণী:করাচি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী
বিষয়শ্রেণী:পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের মহিলা সদস্য
বিষয়শ্রেণী:১৯৩৭-এ জন্ম
বিষয়শ্রেণী:২০১৩-এ মৃত্যু | ফরিদা সিদ্দিকি |
শশী গুপ্ত (জন্ম: ৩রা এপ্রিল, ১৯৬৪, ভারতের দিল্লিতে) একজন প্রাক্তন ভারতীয় টেস্ট ও ওয়ানডে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার এবং বর্তমানে ভারতের ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) এর ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের জাতীয় নির্বাচক তিনি মোট ১৩ টি টেস্ট এবং ২০ টি ওয়ানডে খেলেছেন।
তথ্যসূত্র
বিষয়শ্রেণী:জীবিত ব্যক্তি
বিষয়শ্রেণী:ভারতীয় মহিলা ক্রিকেটার
বিষয়শ্রেণী:ভারতের মহিলা টেস্ট ক্রিকেটার
বিষয়শ্রেণী:ভারতের মহিলা একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার
বিষয়শ্রেণী:১৯৬৪-এ জন্ম | শশী গুপ্ত |
দেবনারায়ণ কি পাড় বা দেবনারায়ণের ফাড় ( গুজারি, বা রাজস্থানী : देवनारायण की फड़) হলো কাপড় পেইন্টিং যার মাধ্যমে কিংবদন্তি বর্ণনা হয়। দেবনারায়ণ, একজন মধ্যযুগীয় নায়ক, যাকে একটি লোক-দেবতা হিসাবে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করা হয়। ঐতিহ্যগতভাবে, এগুলি একটি আচারের সাথে ব্যবহৃত হয় যেখানে দেবনারায়ণের বীরত্বপূর্ণ কাজগুলি পুরোহিতরা গেয়েছেন বা আবৃত্তি করেছেন। দেবনারায়ণ বেশিরভাগ সময়ই রাজস্থান এবং মধ্য প্রদেশে হিন্দু দেবতা বিষ্ণুর অবতার হিসাবে পূজিত হন। কিংবদন্তি অনুসারে, তিনি ৯৬৮ সালে গুর্জার যোদ্ধা সওয়াই ভোজ বাঘরাবত এবং তাঁর স্ত্রী সাদু মাতা গুজারীর পুত্র হিসাবে বিক্রম সংবতে অবতারিত হন।
দেবনারায়ণের ফাড়ে সব মিলিয়ে ৩৩৫ টি গান রয়েছে। ১,২০০ ফোকাসক্যাপ পৃষ্ঠায় লিপিবদ্ধ পুরো বিবরণটি প্রায় ১৫,০০০ শ্লোকবিশিষ্ট। একজন পেশাদার ভোপা অবশ্যই এই সমস্ত গান মনে রাখবে।
দেবনারায়ণের ফাড়
দেবনারায়ণের ফাড় রাজস্থানের জনপ্রিয় ফাড়্গলোর মধ্যে বৃহত্তম। দেবনারায়ণের ফাড়ের আঁকা অঞ্চলটি ১৭০ বর্গফুট (অর্থাৎ ৩৪ 'x ৫')। কিছু অন্যান্য ফাড়ও রাজস্থানে প্রচলিত, তবে সাম্প্রতিক উৎসের হওয়ায় এগুলি রচনায় শাস্ত্রীয় নয়। দেবনারায়ণের ফাড়ের নিম্নলিখিত বৈশিষ্ট্যগুলি রয়েছে:
দেবনারায়ণের ফাড়ের বড় এবং ছোট ব্যক্তিত্ব রয়েছে। তাদের মধ্যে বৃহত্তমটি কেন্দ্র দখল করে এবং দ্বিতীয় বৃহত্তম পরিসংখ্যান ফাড়ের কেন্দ্রীয় অংশে অবস্থিত।
পেইন্টিংটি অনেকগুলি বিভাগের পাশাপাশি সাব-বিভাগে পূর্ণ। এর সীমানায় আলংকারিক জ্যামিতিক ডিজাইন রয়েছে।
ফাড়ের চিত্রিত দৃশ্যগুলি যুদ্ধ, শিকার এবং সতী দহন সহ বেশ কয়েকটি ঘটনার সাথে সম্পর্কিত।
পোশাক, ঘোড়া এবং অস্ত্রগুলির রঙগুলি চরিত্রগুলি সনাক্ত করে। সাধারণত মুখগুলি কঠোর হয়।
ফাড়ের রচনাটি অনুভূমিক, উল্লম্ব বা বাঁকা হতে পারে।
দেবনারায়ণের ফাড়ে রাম, কৃষ্ণ, এবং নরসিমহের মতো হিন্দু দেবদেবীদেরও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
ঘোড়া এবং হাতি কিংবদন্তী এবং অনুগামীদের প্রধান বাহক।
গাছ ও ফুলের ফাড়ে তাদের নিজস্ব স্থান রয়েছে তবে কখনও কখনও এগুলি ফাঁকা স্থান ভরাতে ব্যবহৃত হয়।
গাভীর চিত্রে একটি বিশেষ উপস্থিতি দেওয়া হয়। অন্যান্য ফাড় থেকে এটি পরিষ্কারভাবে আলাদা করা যেতে পারে।
কিছু মুখ পাশের দিকে ফিরিয়ে আঁকা হয়, যদিও বসা ফাড়্গুলোর স্থির রূপ রয়েছে।
ফাড়টি পাঁচটি রঙে আঁকা হয় - কমলা, লাল, ধূসর, সবুজ এবং হলুদ। প্রতিটি রঙের কিছু তাৎপর্য রয়েছে, উদাহরণস্বরূপ কমলা মানুষের মুখ এবং শরীরকে বোঝায় এবং লাল রঙের পোশাক বোঝায়।
সমস্ত পুরুষ ব্যক্তিত্ব তরোয়াল, বর্শা এবং ঢাল হিসাবে অস্ত্র বহন করে।
দেবনারায়ণের ফাড় পড়া
লাল রঙ দেবনারায়ণের ফাড়ে প্রাধান্য পায়। ফাড়ের পঠন শুরু হয় শ্রী দেবনারায়ণের কেন্দ্রীয় চিত্র থেকে। পড়ার উদ্দেশ্যে, ফাড়টিকে তিনটি অংশে ভাগ করা যায়। পার্ট এ বাম থেকে ভগবান দেবনারায়ণের কেন্দ্রীয় চিত্র পর্যন্ত বিস্তৃত। পার্ট বি দেবনারায়ণের চিত্র দিয়ে শুরু হয়ে চতুর্থ বৃহত্তম ব্যক্তিত্ব দেবনারায়ণের চাচাতো ভাই ভাঙ্গি জি দিয়ে শেষ হয়। বাকী অংশটি সি অংশে পঠন শুরু করা হয়েছে দেব দেবনারায়ণ এবং গণেশের মতো অন্যান্য দেবতাদের প্রার্থনা বা আরতির মাধ্যমে।
ভগবান দেবনারায়ণের চিত্রটি ফাড়ের মধ্যে বৃহত্তম। ভগবান দেবনারায়ণের কেন্দ্রীয় এবং বৃহত্তম ব্যক্তিত্ব বাসগ নাগ (সাপের রাজা) -কে উপবিষ্ট দেখানো হয়েছে এবং দেওজির পাশের দৃশ্যে একটি তীক্ষ্ন নাক এবং বিশিষ্ট সোনার অলঙ্কার রয়েছে। কান থেকে একটি বৃহৎ সোনার অলঙ্কার ঝুলছে যা বেশিরভাগ গুর্জার এখনও রাজস্থানে পরেন। এক হাতে ফুল রয়েছে, অন্যদিকে খন্দ (তরোয়াল)।
ভোপা
ডান|থাম্ব| ঈশ্বর শ্রী দেবনারায়ণ
বর্ণনাকারী বা ভোপা হলেন প্রধান সংগীতশিল্পী যারা ব্যাখ্যা ও কাব্যিক বর্ণনাসমূহের সাথে শ্রোতাদের কাছে ফাড় উপস্থাপন করেন। ভোপা যন্তরের মতো যন্ত্র ব্যবহার করে যখন ফাড় দর্শকদের সামনে উপস্থাপন করা হয়। রাশিয়া এবং ফিনল্যান্ডের মতো অন্যান্য দেশে বর্ণনাকারী এবং লোককাহিনী নিয়ে গবেষণা করা হয়েছে। রাশিয়ায়, এই বর্ণনাকারীদের ঝিরাউস এবং বকশী বলা হয়। কিন্তু ফাড় চিত্রকর্মের ঐতিহ্য অনুসারে ভোপারা কেবল নাচ-গান করেন না, তাঁদের বর্ণনায় একটি চিত্র ব্যবহার করেন যা কেবল রাজস্থানেই পাওয়া যায়।
দেবনারায়ণ দেবতার তিন ধরণের ভোপা রয়েছে। তারা হ'ল:
মন্দির ভোপা: মন্দিরের ভোপা মন্দিরের যত্ন নেওয়া পুরোহিত। তিনি ঈশ্বর দেবনারায়ণকে প্রতিদিনের পূজা এবং প্রার্থনা করেন, বিশ্বাসীদের ধর্মীয় ক্যালেন্ডার সম্পর্কে প্রচার করেন এবং ধর্মীয় বিষয়ে পরামর্শ দেন। ফাড়ের ভোপারা মন্দিরের যে ফাড়্গুলো রেখেছিলেন সেগুলির তিনি যত্ন নেন যাতে এর কোনও ক্ষতি না হয়।
জামাত ভোপা: দেবজির অনুসারীদের মধ্যে কেবল গুর্জার সম্প্রদায়ের লোকেরা জামাতগুলিতে যোগ দিতে পারেন। গুর্জারদের মধ্যে তিনটি জামাত রয়েছে। ভগবান দেবনারায়ণের পিতা শ্রী সাওয়াই ভোজের জামাত সর্বাধিক গুরুত্ব বহন করে এবং অন্য যে কোনও তুলনায় বেশি শ্রদ্ধা ভোগ করে।
ফাড় ভোপা: ফাড় ভোপা খণ্ডকালীন বর্ণনাকারী এবং সাধারণত দুটি দলে বিভক্ত। এর মধ্যে একজন হলেন পাতভী, প্রধান এবং অন্যটি হলেন সহকারী দিয়ালা, যিনি প্রদীপ বহন করেন। পারফরম্যান্সের সময়, পাতভী ভোপা ফাড় এবং দিয়ালা জ্বলন্ত প্রদীপ ( দিয়া ) ধারণ করে। ফাড় ভোপা বিভিন্ন জাতের অন্তর্গত হতে পারেন। দেবনারায়ণের ফাড় ভোপা গুর্জার, কুম্ভরস এবং বালাই সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত। কয়েকজন ফাড় ভোপা মাওলি, মন্ডল এবং আরও কয়েকটি গ্রামে বাস করে, তবে তাদের বেশিরভাগই যোধপুর বিভাগের নাগৌড় জেলার রাজস্থানের মারওয়ার এলাকায় বাস করে।
ফাড়ের পারফরম্যান্স
ফাড়ের অভিনয় সূর্যাস্তের পরে শুরু হয়। ফাড় ভোপা মাটির উপরে জল ছিটান এবং তারপরে জমিটিকে পবিত্র করার জন্য সোনার টুকরা দিয়ে স্পর্শ করেন। সাধারণত ফাড়ের পারফরম্যান্স এমন জায়গায় করা হয় যেখানে দেবনারায়ণজির ভক্তরা বাস করেন। ফাড়ের পারফরম্যান্স ভোরদের ভোর পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। প্রথমদিকে কেবল পাতভী ভোপা দেবজির স্তব গায়, তারপরে দিয়ালা ভোপা। দুর্জনসালের সাথে বাগরাবত যুদ্ধ এবং শ্রী দেবনারায়ণ হিসাবে ভগবান বিষ্ণুর অবতার সহ পুরো মহাকাব্যটি ভোপগণ গেয়ে থাকেন।
ফাড়ের রক্ষণাবেক্ষণ
দেবনারায়ণ দেবতার পুরোহিত বা ভোপারা কীভাবে ফারের যত্ন নিতে হবে তা জানেন বলে আশা করা যায়। ভোপা যন্তর বাজানো এবং ধূপের কাঠি জ্বালানোর সময় দিনে তিনবার এটিতে প্রার্থনা করে। দেবনারায়ণের ফাড় দেবজির মন্দিরে দেয়ালের বিপরীতে উল্লম্বভাবে রাখা হয়। এটি অশুচি হাতে স্পর্শ করা হয় না, এবং কেবল পবিত্র জায়গায় রাখা হয়।
ফাড়ের আনুষাঙ্গিক বিষয়াদি
ফাড়ের পাশাপাশি কিছু জিনিস রাখা দরকার। এগুলি হল বাগা (লাল স্কার্ট), একটি লাল ঝোলি (ময়ূরের পালক) এবং একটি ব্যাগাতারি। ভোপরা যখন কোনও কোনও অনুষ্ঠানে একত্রিত হয় তখন দেবনারায়ণের মহাকাব্য সম্পর্কিত তাদের জ্ঞান বাড়ানোর চেষ্টা করে। গুরজার সম্প্রদায় থেকে ভোপারা সাধারণত পুষ্করে জড়ো হয়, আদ্যিকাল থেকে যা গুরজারদের জন্য একটি ধর্মীয় স্থান। পুষ্কর মন্দিরের যাজকরা কেবল গুর্জার সম্প্রদায়ের লোক হন। দেবতারায়ণ দেবতা ভোপা সম্প্রদায়ের সংহতি বাড়াতে এবং এর সংস্কৃতি সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
আর একটি বিখ্যাত ফাড় চিত্রকর্ম হ'ল পাবুজির ফাড় যদিও এটি দেবনারায়ণজির ফাড়ের মতো বড় নয়। পাবুজির ফাড় একটি ১৫ x ৫ ফুট ক্যানভাসে আঁকা হয়েছে।
আরো দেখুন
ফাড় চিত্রকর্ম
তথ্যসূত্র
বাহ্যিক লিঙ্কসমূহ
ফাড় পেইন্টিংয়ের একটি ওয়েবসাইট | দেবনারায়ণের ফাড় |
নায়ক হল ভারতে দেখতে পাওয়া একটি হিন্দু বর্ণ। বিনয় কৃষ্ণ গিদওয়ানির মতে, নায়করা দাবি করে যে তারা ঐতিহাসিকভাবে ব্রাহ্মণ ছিল।
জনতত্ত্ব এবং পেশা
নায়কেরা মূলত হরিয়ানা এবং রাজস্থানে বসবাস করে। এছাড়াও তারা অন্ধ্রপ্রদেশের খম্মম জেলা ও পশ্চিম গোদাবরী জেলা এবং গুজরাতের আহমেদাবাদের কাছে বেশ কয়েকটি গ্রামেও বাস করে। ক্যাথরিন হ্যানসেনের মতে গুজরাতি নায়কদের মূল পেশা ছিল "গান করা, নাচ এবং নাটকে অভিনয় করা"।
ধর্ম বিশ্বাস
অগ্রগামী বর্ণের হিন্দুরা প্রায়শই বেশ কয়েকটি দেবতার ভক্ত হয়। বিশেষত, রাজপুত নায়কেরা শিব (ধ্বংসকারী), সূর্য (সূর্যদেব) এবং দুর্গার (মাতৃরূপী দেবী) উপাসনা করে। সুরক্ষার প্রার্থনা করার জন্য তাদের গৃহদেবতাও রয়েছে। তারা দুর্গাকে উৎসর্গ করা একটি উৎসব দশহরা উদযাপন করে। এই উৎসব চলাকালীন তারা মহিষাসুরের বিরুদ্ধে দেবীর বিজয় উদযাপন করতে মহিষের বলি দেয়।
বর্তমান পরিস্থিতি
নায়ক জাতকে রাজস্থানে তফসিলি জাতি হিসাবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে।
পশ্চাদপট
উপজাতি কল্যাণ অধিদপ্তর কর্মকর্তাদের একটি দলকে নিযুক্ত করেছিল, তফসিলি মর্যাদার জন্য নায়কদের আবেদনের পরীক্ষা করার জন্য। এই দলটি এই সম্প্রদায়ের সংস্কৃতি, জীবনযাপন, অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিস্থিতি এবং সম্প্রদায়ের নৃতাত্ত্বিক দিকগুলি পরীক্ষা করার পরে, উপসংহারে এসেছিল যে এটি বিসি (এ) বিভাগের অধীনে ভোজনায়ক এবং ভোজ বাল্মিকী বর্ণের মধ্যে পড়ছে। উপজাতি কল্যাণ অধিদপ্তর সেই অনুযায়ী কমিটির অনুসন্ধানের ফলকে বৈধ ঘোষণা করে পরবর্তী পদক্ষেপের নির্দেশ জারি করেছিল।
আরো দেখুন
নায়ক রাজবংশ
কেলাডির নায়কেরা
তথ্যসূত্র
বিষয়শ্রেণী:ভারতে হিন্দুধর্ম
বিষয়শ্রেণী:ভারতীয় সমাজ
বিষয়শ্রেণী:ভারতীয় সংস্কৃতি | নায়ক (বর্ণ) |
চাঁদপুর জেলার হাজিগঞ্জ উপজেলায় ধড্ডা মোয়াজ্জেম হোসেন চৌধুরী ডিগ্রি কলেজটি অবস্থিত। | ধড্ডা মোয়াজ্জেম হোসেন চৌধুরী ডিগ্রি কলেজ |
নিঘাত পারভিন () ছিলেন একজন পাকিস্তানি রাজনীতিবিদ যিনি ২০০৮ সালের মার্চ থেকে ২০১৮ সালের মে পর্যন্ত পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদেরসদস্য ছিলেন। তিনি ২০১৯ সালের ২৪ এপ্রিল মৃত্যুবরণ করেছেন।
রাজনৈতিক জীবন
তিনি ২০০৮ সালের পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে পাঞ্জাবের নারীদের জন্য সংরক্ষিত একটি আসনে পাকিস্তান মুসলিম লীগ (এন)-এর প্রার্থী হিসাবে পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে নির্বাচিত হয়েছিলেন।
২০১৩ সালের পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে পাঞ্জাবের নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসনে পাকিস্তান মুসলিম লীগের (এন) প্রার্থী হিসাবে তিনি পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে পুনরায় নির্বাচিত হয়েছিলেন।
মৃত্যু
নিঘাত পারভিন ২০১৯ সালের ২৪ এপ্রিল পাকিস্তানের ঝিলামে মৃত্যুবরণ করেছিলেন। মৃত্যুর আগে তাকে চোখের অপারেশনের জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল এবং সেখানে তার হেমোরেজিক স্ট্রোক হয়েছিল এবং কোমায় থাকাকালীন অবস্থায় মারা গিয়েছিলেন।
তথ্যসূত্র
বিষয়শ্রেণী:২১শ শতাব্দীর নারী রাজনীতিবিদ
বিষয়শ্রেণী:জন্মের বছর অনুপস্থিত (জীবিত ব্যক্তি)
বিষয়শ্রেণী:পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের মহিলা সদস্য
বিষয়শ্রেণী:পাকিস্তান জাতীয় পরিষদ সদস্য ২০০৮-২০১৩
বিষয়শ্রেণী:পাকিস্তান জাতীয় পরিষদ সদস্য ২০১৩-২০১৮
বিষয়শ্রেণী:পাঞ্জাবি ব্যক্তি
বিষয়শ্রেণী:পাকিস্তান মুসলিম লীগের (এন) রাজনীতিবিদ
বিষয়শ্রেণী:জীবিত ব্যক্তি | নিঘাত পারভিন |
মুহাম্মদ নওয়াজ ইরফানি (; ১ জানুয়ারী ১৯৭০ - ২০১৪) পাকিস্তানের পারাচিনারের একজন শিয়া মুসলিম ধর্মীয় নেতা, বিপ্লবী এবং রাজনীতিবিদ। পরবর্তিতে তার স্থলাভিষিক্ত হন শেখ ফিদা হুসাইন মুজাহিরি।
প্রাথমিক জীবন
মুহাম্মদ নওয়াজ ইরফানি গিলগিটের দানিয়োরে জন্মগ্রহণ করেন। তার প্রাথমিক শিক্ষা গ্রামের স্থানীয় স্কুলে সম্পন্ন হয়। তার পরিবার ছিল ইসমাইলি শিয়া, কিন্তু তার পিতামহ এবং পিতা ইসমাইলি ধর্মের উপর বারোশিয়া ইসলামকে (ইসনা আশারিয়া) অগ্রাধিকার দেন এবং শিয়া ইসলামের সাথে যুক্ত হন। ফলস্বরূপ, তাদের অনেক কষ্ট এবং ঝামেলা সহ্য করতে হয়।
শিক্ষাজীবন
সকল ঔদ্ধত্ব সহ্য করে তার বাবা তাকে লাহোরের জামিয়া তুর মুনতাজারে প্রেরণ করেধ। সেখানে বহু পন্ডিতদের অধীনে তিনি ধর্মীয় শিক্ষা লাভ করেন।
দেশান্তর
স্থানীয় সরকার তাকে ২০১৩ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত নির্বাসিত করে। তিনি কিছুসময়ের জন্য ইসলামাবাদে অবস্থান করেন। স্থানীয় জনগণ এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলেও তা ফলপ্রসূ হয়নি।
মৃত্যু
২৬ নভেম্বর, ২০১৪ তারিখে ইসলামাবাদে আল্লামা মুহাম্মদ নওয়াজ ইরফানিকে গুলি করে হত্যা করা হয়। কেন্দ্রীয় ঈদগাহে জুমআর নামাজের পর সর্ব স্তরের মানুষ তার জানাজায় অংশ গ্রহণ করে। পরে তাকে ঈদগাহ কবরস্থানে সমাধীস্থ করা হয়। অংশগ্রহণকারীরা শিয়া পণ্ডিতের হত্যাকাণ্ডে মর্মাহত হয় এবং শোক প্রকাশ করে এবং দোষীদের গ্রেফতার এবং তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানায়।
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ | মুহাম্মদ নওয়াজ ইরফানি |