text
stringlengths
11
126k
title
stringlengths
1
182
পুনর্নির্দেশ ফালাকাটা
Falakata
redirect বসিরহাট
Basirhat
পুনর্নির্দেশ বিপ্র নোয়াপাড়া
Bipra Noapara
পুনর্নির্দেশ ভুটান
Bhutan
পুনর্নির্দেশ অণু-ইলেকট্রন বিজ্ঞান
Microelectronics
পুনর্নির্দেশ ম্যারি ওলস্টোনক্র্যাফ্‌ট
Mary Wollstonecraft
পুনর্নির্দেশ রাজা কংসনারায়ণের মন্দির
Temple of King Kangsa Narayan
পুনর্নির্দেশ লুক্সেমবুর্গ শহর
Luxembourg (city)
পুনর্নির্দেশ সংকুচিত প্রাকৃতিক গ্যাস
Compressed natural gas
পুনর্নির্দেশ স্টিভেন হকিং
Stephen Hawking
জাপানী ভিডিও গেম কোম্পানি নিনটেন্ডো কর্তৃক প্রকাশিত একটি মিডিয়া ফ্র‍্যাঞ্চাইজি। বর্তমানে এটি দ্য পোকেমন কোম্পানির মালিকানাধীন সাতোশি তাজিরি ১৯৯৬ সালে এই গেম ডেভেলপ করেন। মূলত গেম ফ্রিক কোম্পানির ডেভেলপ করা তার দিয়ে সংযুক্ত করা যায় এমন ডিভাইস গেম বয় এর জন্য রোল-প্লেইং ভিডিও গেম হিসেবে গেমটিকে বাজারে ছাড়া হয়। পোকেমন বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বাধিক সফল এবং লাভজনক ভিডিও গেম ফ্র্যাঞ্চাইজিতে পরিণত হয়েছে, যা শুধুমাত্র নিন্টেন্ডোর নিজস্ব মারিও ফ্র‍্যাঞ্চাইজির পেছনে অবস্থান করছে। পরবর্তীকালে একে অ্যানিমে, মাঙ্গা, ট্রেডিং কার্ড, খেলনা, বই, এবং অন্যান্য মাধ্যমে বিভিন্নভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। ফ্র‍্যাঞ্চাইজিটি ২০০৬ সালে দশম বর্ষপূর্তি পালন করে। ২০১৬ সালে এর ২০ বছর পূর্তি হয়। ভিডিও গেমের বিক্রয়ের সংখ্যা বর্তমানে (ঘরোয়া কনসোল সংস্করণসহ, যেমন নিনটেন্ডো ৬৪-এর জন্যে "হেই ইউ, পিকাচু!") ২০০ মিলিয়ন কপি ছাড়িয়েছে। নভেম্বর ২০০৫ সালে, ফোরকিডস এন্টারটেইনমেন্ট, যা পোকেমনের গেম-ব্যতিত অন্যান্য লাইসেন্স নিয়ন্ত্রণকারী, ঘোষণা করে যে তারা পোকেমনের লাইসেন্স আর নবায়ন করবে না। পোকেমন ইউএসএ ইনক. (বর্তমানে দ্যা পোকেমন কোম্পানি ইন্টারন্যাশনাল), জাপানের পোকেমন কোম্পানির একটি সহায়ক প্রতিষ্ঠান; যা বর্তমানে এশিয়ার বাইরে পোকেমনের লাইসেন্সের কাজ পরিচালনা করে থাকে। নাম পোকেমন নামটি জাপানি ব্র্যান্ড -এর রোমান হরফে লেখা সংক্ষিপ্ত রূপ। এ-ধরনের সংকোচন জাপানে খুবই সাধারণ। পোকেমন শব্দটি, পোকেমন ফ্র‍্যাঞ্চাইজিকে নির্দেশ করার পাশাপাশি যৌথভাবে ৮০৯টি কাল্পনিক প্রাণীকেও নির্দেশ করে, যাদের উপস্থিতি পোকেমন দুনিয়ার সর্বত্র লক্ষ্য করা যায়। এক বচন এবং বহু বচন উভয় জায়গাতেই প্রতিটি পোকেমনের নাম অভিন্ন ; তবে এই নিয়মটি শুধুমাত্র ইংরেজি ব্যকরণের বেলাতেই প্রযোজ্য। ধারণা পোকেমন জগতের ধারণা, ভিডিও গেমস এবং পোকেমনের সাধারণ কাল্পনিক দুনিয়া উভয়ে, পোকামাকড় সংগ্রহ করার শখ থেকে আগত হয়, একটি জনপ্রিয় বিনোদনের খেলা যা পোকেমনের নির্বাহী পরিচালক সাতোশি তাজিরি ছেলেবেলায় উপভোগ করতেন। গেমসের খেলোয়াড়দের পোকেমন প্রশিক্ষক () হিসেবে নিয়োজিত করা হয়, আর এ ধরনের প্রশিক্ষকদের জন্য তিনটি সাধারণ লক্ষ্য (বেশিরভাগ পোকেমন গেমস-এ) হলোঃ একটি কাল্পনিক অঞ্চলের () প্রাপ্তিসাধ্য সকল পোকেমন প্রজাতি সংগ্রহ করে আঞ্চলিক পোকেডেক্স পূর্ণ করা, যেখানে ঐ গেমটি সংঘটিত হয় ; আর অন্যান্য অঞ্চলের পোকেমন স্থানান্তরের মাধ্যমে জাতীয় পোকেডেক্স পূর্ণ করা ; এবং তাদের সংগ্রহ করা পোকেমন থেকে একটি শক্তিশালী দল গঠন করা, যেন তারা অন্যান্য প্রশিক্ষকদের পোকেমন দলের সাথে প্রতিযোগিতা করতে পারে, এবং পরিণামে সবচেয়ে শক্তিশালী প্রশিক্ষক অর্থাৎ, পোকেমন নিয়ন্ত্রণকারী () হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে পারে। পোকেমন সংগ্রহ, প্রশিক্ষন ও লড়াই করার এসকল বিষয় পোকেমন ফ্রেঞ্চাইজের প্রায় সকল রূপেই লক্ষণীয়, এমনকি ভিডিও গেমস, আনিমে ও মাঙ্গা সিরিজ, এবং পোকেমন ট্রেডিং কার্ড গেমেও। পোকেমন জগতের প্রায় সব চিন্তাধারায়, একজন প্রশিক্ষক যিনি বন্য পোকেমন () -এর মুখোমুখি হন, সেগুলোর দিকে এক ধরনের, বিশেষ ভাবে প্রস্তুতকৃত, অধিক পরিমাণে উৎপাদন যোগ্য গোলাকার যন্ত্র, যার নাম পোকেবল (), ছুঁড়ে মারার মাধ্যমে সেগুলোকে সংগ্রহ করতে পারেন। যদি পোকেমনটি পোকেবল -এর সীমার মধ্যে থেকে পালাতে সফল না হয়, তবে ঐ পোকেমনটিকে আনুষ্ঠানিকভাবে ঐ প্রশিক্ষক এর অধীনস্থ হিসেবে ধরে নেয়া হয়। অতঃপর, এটি তাই করবে, যা তার নতুন মালিক নির্দেশ করবে, যদি না উক্ত প্রশিক্ষক এমন অনভিজ্ঞতা প্রদর্শন করেন, যে পোকেমনটি তার নিজের ইচ্ছানুযায়ী চলতে বেশি স্বাচ্ছন্দ বোধ করবে। প্রশিক্ষকেরা তাদের যেকোনো পোকেমনকে অন্য পোকেমনের সঙ্গে অ-প্রাণঘাতী লড়াইয়ে লিপ্ত হবার জন্যে বাহিরে বের করতে পারেন; যদি বিপক্ষের পোকেমন বন্য হয়, তাহলে উক্ত প্রশিক্ষক উল্লেখ্য পোকেমনটিকে একটি পোকেবল -এর সাহায্যে সংগ্রহ করতে পারবেন, অতঃপর তিনি তার পোকেমন সংগ্রহ বৃদ্ধি করতে পারবেন। কিছু কিছু গেমসের বিশেষ পরিস্থিতি ব্যতিত, অন্য মালিকের অধিনস্থ পোকেমন সংগ্রহ করা যায় না। যদি একটি পোকেমন আরেকটি পোকেমনকে লড়াইয়ে এমনভাবে হারিয়ে দেয় যাতে পোকেমনটি অজ্ঞান () হয়ে যায়, তাহলে জয়ী পোকেমনটি অভিজ্ঞতা লাভ করে এবং মাঝে মাঝে নতুন পর্যায়ে উন্নীত () হয়। উন্নীত হবার সময়ে, পোকেমনের লড়াই সম্বন্ধীয় তথ্যাবলী বা তথ্য () বৃদ্ধি পায়, যেমন আক্রমণ () এবং দ্রুততা ()। কিছু সময় পর পর পোকেমন নতুন আক্রমণও () শিখতে পারে, যা লড়াইয়ে কৌশল হিসেবে ব্যবহৃত হয়। তদতিরিক্ত, অনেক প্রজাতির পোকেমন আকার ও চারিত্রিকভাবে রূপান্তরিত হবার ক্ষমতা রাখে, যার মাধ্যমে সে সমধর্মী তবে আরও বেশি শক্তিশালী প্রজাতির পোকেমনে রূপান্তরিত হতে পারে,এই প্রক্রিয়াকে বলা হয় বিবর্তন ();এই প্রক্রিয়াটি বিভিন্ন পরিস্থিতিতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে ঘটে এবং এটিও এই সিরিজের একটি কেন্দ্রীয় বিষয়।পোকেমনের কিছু প্রজাতি সর্বোচ্চ দুটি বিবর্তনিক রূপান্তরের মধ্য দিয়ে যেতে পারে, যখন অন্যান্য কিছু প্রজাতির শুধু একবারই বিবর্তনিক রূপান্তর হয়। এছাড়া কিছু প্রজাতির এধরনের রূপান্তর হয়ইনা। প্রকৃত সিরিজে, প্রত্যেক গেমের এক-খেলোয়াড় মোড -এ প্রশিক্ষককে একটি পোকেমন দল গঠন করতে হয় যাতে তিনি অন্যান্য, খেলোয়াড় অনিয়ন্ত্রিত প্রশিক্ষক () ও তাদের পোকেমনদের হাঁড়াতে পারেন। প্রতিটি গেম প্রশিক্ষকদের ভ্রমনের জন্যে একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলের মধ্যে দিয়ে একটি রৈখিক পথ তৈরি করে, যে ভ্রমনে তিনি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা সম্পূর্ণ করবেন এবং পথে একাধিক প্রতিদ্বন্দ্বী -এর সঙ্গে লড়াই করবেন। প্রত্যেক গেম-এ আটজন শক্তিশালী প্রশিক্ষকদের বিশেষ ভাবে তুলে ধরা হয়, যাদেরকে বলা হয় জিম অধিনায়ক ()। প্রশিক্ষকদের জন্যে তাদের হারানো, গেমের অগ্রগতির জন্যে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পুরস্কার হিসেবে প্রশিক্ষককে একটি জিম নিদর্শন () দেয়া হয়। কেবল মাত্র আটটি জিম নিদর্শন সংগ্রহ করার পরই প্রশিক্ষক ঐ অঞ্চলের পোকেমন সংঘকে () লড়াইয়ে আহ্বান () করতে পারে, যেখানে চারজন অত্তাধিক প্রতিভাবান পোকেমন প্রশিক্ষক, যাদেরকে যৌথভাবে "অভিজাত চার" () বলা হয়, প্রশিক্ষককে চারটি পোকেমন লড়াইয়ে স্বাগতম করেন। যদি উক্ত প্রশিক্ষক এই চারকে রামধোলাই দিতে সক্ষম হন, তবে তাকে ঐ অঞ্চলের বিজয়ীর সঙ্গে লড়াইয়ে নামতে হবে, যে অভিজাত চারকে পূর্বে হারিয়ে ছিল। যেই প্রশিক্ষকই এই শেষ লড়াইয়ে জয়ী হয়, তিনি ঐ অঞ্চলের নতুন বিজয়ী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হন এবং পোকেমন নিয়ন্ত্রণকারী নামে ভূষিত হন। (Pokémon list) All 721 Pokémon in the world ভিডিও গেমসমূহ প্রজন্মসমূহ সর্বপ্রথম যে পোকেমন গেম সমূহ প্রস্তুত করা হয়, সেগুলো ছিল সৈনাপত্যবিদ্যা বিষয়ক এক ধরনের চরিত্র-নির্বাহী খেলা বা রোল-প্লেয়িং গেম (আরপিজিএস), যা গেম বয়ের জন্যে তৈরি করেন সাতোশি তাজিরি। এই আরপিজিএস খেলাসমূহের পরবর্তী খেলাসমূহ তাদের অনুফল-গুলো এবং ইংরেজি অনুবাদগুলো এখনও প্রধান পোকেমন গেম হিসেবে বিবেচিত হয়। আর সিরিজের বেশিরভাগ অনুরাগীরা এই গেমগুলোকেই অর্পণ করেন, যখন তারা বলেন, পোকেমন গেমস। দ্যা পোকেমন কোম্পানি ইন্টারন্যাশনাল -এর তত্ত্বাবধানে থাকা পোকেমনের সকল অনুমতিপ্রাপ্ত বিষয়সম্পত্তি অমার্জিতভাবে প্রজন্ম দিয়ে ভাগ করা হয়। এই প্রজন্মগুলো অমার্জিতভাবে মুক্ত হবার কালানুক্রমে বিভক্ত; কিছু বছর পর পর, যখন আনুষ্ঠানিকভাবে প্রধান আর.পি.জি. সিরিজের একটি অনুফল মুক্তি পায়, যাতে আছে নতুন পোকেমন, চরিত্র, এবং খেলার ধারণা, তখন ঐ অনুফলটি পোকেমন ফ্রেঞ্চাইজ -এর একটি নতুন প্রজন্ম বলে বিবেচিত হয়। প্রধান গেমসমূহ এবং তাদের প্রতিমাগুলো, এনিমি, ম্যাঙ্গা, এবং ট্রেডিং কার্ড গেম সবই নতুন পোকেমন সম্পত্তি দ্বারা আধুনিকায়ন করা হয়ে থাকে, যখন একটি নতুন প্রজন্ম শুরু হয়। ফ্রেঞ্চাইজটি তার ষষ্ঠতম প্রজন্ম শুরু করে জাপানে, অক্টোবর ১২, ২০১৩ সালে। thumb|right|লেবেল ৫ বালবাসর-এর যুদ্ধ এবং পোকেমন ইয়েলো লেবেল ৫-এর চারমেন্ডার অন্যান্য মাধ্যমে আনিমে ধারাবাহিক চলচ্চিত্র এখানে মূল জাপানি মুক্তির বছর অনুযায়ী চলচ্চিত্রের তালিকা রয়েছে: পোকেমন: দ্য ফার্স্ট মুভি—মিউটো স্ট্রাইকস বেক (১৯৯৮) পোকেমন: দ্য মুভি ২০০০—দ্য পাওয়ার অফ ওয়ান (১৯৯৯) পোকেমন ৩: দ্য মুভি—স্পিল অফ দ্য আনঔন (২০০০) পোকেমন ফরেভার—সেলিবি: ভয়েস অফ দ্য ফরেস্ট (২০০১) পোকেমন হিরোস (২০০২) পোকেমন: জিরাচি উইশ মেকার (২০০৩) পোকেমন: ডেসটিনি ডিওক্সিস (২০০৪) পোকেমন: লুকারিও অ্যান্ড দ্য মায়েস্ট্রি অফ মিউ (২০০৫) পোকেমন রেঞ্জার অ্যান্ড দ্য টেম্পল অফ দ্য সি (২০০৬) পোকেমন: দ্য রাইজ অফ ডার্করাই (২০০৭) পোকেমন: জিরান্টিনা অ্যান্ড দ্য স্কাই ওয়ারিওর (২০০৮) পোকেমন: আর্কেস অ্যান্ড দ্য জুয়েল অফ লাইফ (২০০৯) পোকেমন: জোরোআর্ক: মাস্টার অফ ইলুশনস (২০১০) পোকেমন দ্য মুভি: ব্ল্যাক—ভিকটিনি অ্যান্ড রেশিরাম অ্যান্ড পোকেমন দ্য মুভি: হোয়াইট—ভিকটিনি অ্যান্ড জেকরোম (২০১১) পোকেমন দ্য মুভি: কায়রেম ভার্সেস দ্য সোর্ড অফ জাস্টিস (২০১২) পোকেমন দ্য মুভি: জেনেসেক্ট অ্যান্ড দ্য লেজেন্ড অ্যায়োকেন্ড (২০১৩) পোকেমন দ্য মুভি: ডাইয়েন্সি অ্যান্ড দ্য কোকুন অফ ডেসট্রাকশন (২০১৪) "পোকেমন দ্য মুভি: হুপা অ্যান্ড দ্য ক্ল্যাশ অফ এজেস (২০১৫) আরো দেখুন ডোরেমন অধ্যায়ের তালিকা পোকেমনের চরিত্রসমূহের তালিকা পোকেমনের পর্বের তালিকা পোকেমনের ভিডিও গেমের তালিকা তথ্যসূত্র বই টীকা বহিঃসংযোগ পোকেমনের অফিসিয়াল জাপানি ওয়েবসাইট পোকেমনের অফিসিয়াল ইউএস ওয়েবসাইট পোকেমনের অফিসিয়াল ইউকে ওয়েবসাইট পোকেমন ট্রেডিং কার্ড গেমের অফিসিয়াল ইউএস ওয়েবসাইট Bulbapedia, the community driven Pokémon encyclopedia বিষয়শ্রেণী:১৯৯৬-এ প্রবর্তন বিষয়শ্রেণী:মিডিয়া ফ্রেঞ্চাইজ বিষয়শ্রেণী:জাপানি ব্র্যান্ড
পোকেমন
কোন গ্রহ এবং সূর্যের মধ্যবর্তী কৌণিক দূরত্বকে প্রতান (Elongation) বলা হয়। এর অপর নাম দ্রাঘন। কৌণিক দূরত্ব নির্ণায়ক এই কোণের কেন্দ্রে থাকে পৃথিবী। প্রতানের কিছু বিশেষ মানের জন্য বিশেষ কিছু নাম রয়েছে। যেমন: প্রতান ০ ডিগ্রী হলে সে অবস্থানকে গ্রহসংযোগ বা Conjunction বলে। প্রতান ১৮০ ডিগ্রী হলে বলে প্রতিযোগ বা Opposition। প্রতান ৯০ ডিগ্রী হলে সেই অবস্থানকে বলা হয় পাদসংস্থান বা Quadrature। অন্তস্থ গ্রহদের প্রতান সূক্ষকোণ হওয়ার কারণেই এই গ্রহগুলোকে সূর্যাস্তের পর পশ্চিমে এবং সূর্যোদয়ের পূর্বে পূর্ব আকাশে দেখা যায়। আর বহিস্থ গ্রহদেরকে রাতের যেকোন সময়ে দেখা যায়। বিষয়শ্রেণী:জ্যোতির্বিজ্ঞান
প্রতান
আতাউর রহমান খান খাদিম (১লা ফেব্রুয়ারি, ১৯৩৩ - ২৬শে মার্চ, ১৯৭১) ছিলেন বাংলাদেশী শিক্ষাবিদ। তিনি ত্রিপুরার খড়মপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। খান খাদিম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে পদার্থ বিজ্ঞানে ১৯৫৩ সালে বি.এসসি (অনার্স) এবং ১৯৫৪ সালে এম.এসসি. ডিগ্রি লাভ করেন এবং পশ্চিম জার্মানীর গোটিনজেন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কোয়ান্টাম থিওরী বিষয়ে পি.এইচ.ডি. করেন। পরবর্তীতে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভগে প্রভাষক হিসেবে শিক্ষকতা শুরু করেন। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে ইতিহাসের জঘন্যতম গণহত্যার সূত্র ধরে ২৬ মার্চ সকালে পাকিস্তানি বাহিনী আক্রমণ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ‌ হলে এবং হত্যা করে শহীদুল্লাহ্‌ হলের তৎকালীন মেধাবী এই আবাসিক শিক্ষককে। উল্লেখ্য, খান খাদিম ছাড়া শহীদুল্লাহ্‌ হলের আরও একজন আবাসিক শিক্ষক সেদিন পাক-বাহিনীর হত্যাযজ্ঞের শিকার হয়েছিলেন। তিনি গণিত বিভাগের শরাফত আলী। জন্ম ও শিক্ষাজীবন আতাউর রহমান খান খাদিমের পিতার নাম দৌলত আহমদ খাদিম এবং মাতার নাম আঞ্জুমান নিসা। ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনায় আগ্রহী খান খাদিম ১৯৪৮ ব্রাহ্মণবাড়িয়া’র জর্জ এইচ স্কুল থেকে প্রথম শ্রেণীতে মেট্রিকুলেশন এবং ১৯৫০ সালে ঢাকা কলেজ হতে ঢাকা বোর্ড হতে প্রথম শ্রেণীতে ১১তম স্থান নিয়ে ইন্টারমিডিয়েট পাশ করেন। এর পরে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হন সম্মান শ্রেনীতে। ছাত্রাবস্থায় খান খাদিম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের আবাসিক ছাত্র ছিলেন। ১৯৫৩ সালে তিনি বিএসসি(সম্মান) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন প্রথম শ্রেণীতে ২য় স্থান লাভ করে। একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই ১৯৫৪ সালে এম.এস.সি পাশ করেন ২য় শ্রেণীতে ১ম স্থান লাভের মাধ্যমে। কর্মজীবন তত্ত্বীয় পদার্থবিজ্ঞান, বিশেষ করে কোয়ান্টাম ফিজিক্স এর উপর আগ্রহ থাকায় খান খাদিম কোয়ান্টাম থিওরীর উপর পি.এইচ.ডি. করতে যান পশ্চিম জার্মানির গোটেনজেন বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং ১৯৬০ সালে ডিগ্রি অর্জন করে দেশে ফিরে আসেন। দেশে ফিরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তত্ত্বীয় পারমাণবিক পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ে গবেষক হিসেবে নিযুক্ত হন। তিনি ১৯৫১ থেকে ৩০ জুন,১৯৫৬ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানের ফিলিপস ইলেক্ট্রিক্যাল কোম্পানিতে এক্স-রে ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। পরবর্তীতে খান খাদিম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে ১৯৬৩ সালের ২০ অগাস্টে অস্থায়ী প্রভাষক পদে যোগ দেন। একই বছরের ৬ সেপ্টেম্বর একই বিভাগে বিভাগীয় ফেলো হিসেবে যোগদান করেন।পরবর্তীতে ১৯৬৫ সালের ৫ ডিসেম্বর পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের স্থায়ী প্রভাষক হিসেবে তিনি তার কর্মজীবন শুরু করেন। প্রথমদিকে বি.এস.সি. ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থীদের ব্যবহারিক ক্লাশ নিতেন খান খাদিম । মৃত্যু শিক্ষক থাকাকালীন অবস্থায় খান খাদিম থাকতেন তৎকালীন ঢাকা হলের (বর্তমান শহীদুল্লাহ্ হল) ওয়েস্ট হাউজের বাবুর্চি খানার উপর ২য় তলায়। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের রাতেও তিনি একই ভবনে অবস্থান করছিলেন।প্রতক্ষ্যদর্শীর ভাষ্যমতে,২৬ মার্চ সকালে যখন পাকিস্তানি বাহিনী চানখাঁর-পুল এলাকা দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ঢুকতে চায়, তখন প্রথম প্রতিরোধটি আসে শহীদুল্লাহ হল থেকেই। এতে পাক-হানাদার বাহিনী সরাসরি আক্রমণ চালায় শহীদুল্লাহ্ হলের অভ্যন্তরে। মুহূর্তেই মারা যায় শহীদুল্লাহ্ হলের নাম না জানা অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী এবং দুজন আবাসিক শিক্ষক। সকাল আনুমানিক ৯টার দিকে হানাদার বাহিনীর গুলিতে মারা যান পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অকৃতদার এই শিক্ষক আতাউর রহমান খান খাদিম। এছাড়াও শহীদ হন গণিত বিভাগের শিক্ষক শরাফত আলী। ১০-১১ দিন লাশ একই অবস্থায় পড়ে থাকার পর গলিত,পচে যাওয়া লাশ নিয়ে যাওয়া হয় দাফনের জন্য। স্মৃতি খান খাদিমের স্মৃতিকে ধরে রাখার জন্য ১৯৭৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ২য় বর্ষের মাইনর ল্যাবটির নামকরণ করা হয় “খান খাদিম ল্যাবরেটরী”, যেখানে প্রথম তিনি শিক্ষার্থীদের ব্যবহারিক পাঠদান শুরু করেন। এছাড়া, শহীদুল্লাহ্‌ হলের আবাসিক এই শিক্ষকের স্মরণে শহীদুল্লাহ্‌ হল ডিবেটিং ক্লাব খান খাদিমের নামকরণে প্রতি বছর আয়োজন করে "খান খাদিম অন্তঃহল বিতর্ক প্রতিযোগিতা"। এছাড়া শহীদুল্লাহ্‌ হলের ওয়েস্ট হাউজের কাছাকাছি ২৫ মার্চ রাতের শহিদ শহীদুল্লাহ্‌ হলের আবাসিক শিক্ষকদের একটি নামফলক থাকলেও ২০০৭ সালে তা সংস্কারের নামে সরিয়ে ফেলা হয়, যা পরবর্তীতে আর পুনঃস্থাপন করা হয় নি। বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশী শিক্ষাবিদ বিষয়শ্রেণী:১৯৩৩-এ জন্ম বিষয়শ্রেণী:১৯৭১-এ মৃত্যু বিষয়শ্রেণী:১৯৭১-এ শহীদ বুদ্ধিজীবী বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে নিহত ব্যক্তি বিষয়শ্রেণী:ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক
আতাউর রহমান খান খাদিম
আনিস চৌধুরী (জন্ম: ২ নভেম্বর, ১৯২৯ - মৃত্যু: ১৯৯০) ছিলেন বাংলাদেশী নাট্যকার এবং ঔপন্যাসিক। তার জন্ম কলকাতায় হলেও পৈতৃক নিবাস ছিল কুমিল্লায়। ১৯৬৮ সালে নাটকে বাংলা একাডেমী পুরস্কার লাভ করেন। জন্ম চৌধুরী, আনিস (১৯২৯-১৯৯০)  কথাসাহিত্যিক, নাট্যকার। তার পিতৃদত্ত নাম আনিসুজ্জামান কামরুদ্দীন। ছাত্রাবস্থায় তিনি আনিসুজ্জামান চৌধুরী নাম ধারণ করেন; ‘আনিস চৌধুরী’ তার সাহিত্যিক নাম। কলকাতার তালতলা লেনে নানার বাড়িতে তার জন্ম। তাদের আদি নিবাস কুমিল্লা জেলায়। পিতা নুরুল হুদা চৌধুরী ছিলেন কুমিল্লার ইনসাফ হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক। শিক্ষাজীবন আনিস চৌধুরীর লেখাপড়া শুরু হয় মাইজভান্ডার শরিফে। তিনি ১৯৪৪ সালে প্রবেশিকা, ১৯৪৬ সালে কলকাতার  প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট এবং ১৯৫৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএসসি পাস করেন। কর্মজীবন ১৯৫৪ সালে তিনি সরকারি চাকরিতে যোগ দেন এবং পরে করাচির রেডিও পাকিস্তান-এ টেকনিক্যাল এসিস্ট্যান্ট হিসেবে কাজ করেন। স্বাধীনতার পর তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশনের উপ-মহাপরিচালক ও সরকারের বহিঃপ্রচার বিভাগের মহাপরিচালক নিযুক্ত হন। ১৯৭৯ সালে তিনি ডেপুটেশনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগ দেন এবং কিছুদিন ইসলামাবাদে বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রথম প্রেস কাউন্সিলর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত তিনি একটি জীবনবীমা কোম্পানির উপদেষ্টা ছিলেন। আনিস চৌধুরী ছাত্রাবস্থায় (১৯৪৬-৪৭)  কলকাতা থেকে প্রকাশিত ইত্তেহাদ পত্রিকার সহসম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। মৃত্যু ১৯৯০ সালের ২ নভেম্বর ঢাকায় তার মৃত্যু হয়। সাহিত্য কর্ম নাটক মানচিত্র অ্যালবাম (১৯৬৫) চেহারা (১৯৭৯) তবুও অন্যান্য উপন্যাস সরোবর (১৯৬৭) সৌরভ (১৯৬৮) শখের পুতুল(১৯৬৮) মধুগড় (১৯৭৪) ঐ রকম একজন (১৯৮৬) ময়নামতী গল্প সংকলন সুদর্শন ডাকছে (১৯৭৮) তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশী নাট্যকার বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশী ঔপন্যাসিক বিষয়শ্রেণী:১৯২৯-এ জন্ম বিষয়শ্রেণী:১৯৯০-এ মৃত্যু বিষয়শ্রেণী:বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার বিজয়ী
আনিস চৌধুরী
পেনিসিলিন এক প্রকার অ্যান্টিবায়োটিক। এটি পেনিসিলিয়াম (Penicillium) নামক ছত্রাকথেকে তৈরি করা হয়। ব্যাক্টেরিয়ার কোষপ্রাচীরের পেপটিডোগ্লাইকেন সংশ্লেষণ বন্ধ করে পেনিসিলিন কাজ করে থাকে। পেনিসিলিন এন্টিবায়োটিক ঐতিহাসিক দিক দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ তারা ছিল প্রথম ওষুধ, যা অনেক গুরুতর যেমন সিফিলিস হিসাবে রোগ, বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণের বিরুদ্ধে কার্যকর ছিল। পেনিসিলিন এখনও ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে; যদিও ব্যাকটেরিয়া এখন অনেক ধরনের প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে এর বিরুদ্ধে। সব পেনিসিলিন বিটা-ল্যাক্টাম অ্যান্টিবায়োটিক এবং ব্যাকটেরিয়া বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হয়, সাধারণত গ্রাম-ব্যাকটেরিয়ার সৃষ্ট ইনফেকশনের চিকিত্সায় এর কার্যকারিতা ভালো। গঠন পেনিসিলিন বিটা-ল্যাক্টাম জাতীয় অ্যান্টিবায়োটিক। "penam" শব্দটি পেনাসিলিন এন্টিবায়োটিক সদস্যদের মূল রাসায়নিক গঠন বর্ণনায় ব্যবহার করা হয়। এই রাসায়নিক গঠন এর আণবিক সূত্র R-C9H11N2O4S । যেখানে R একটি পরিবর্তনশীল পার্শ্ব চেইন । সাধারন পেনিসিলিন একটি ৩১৩ আণবিক ওজন থেকে ৩৩৪ গ্রাম / মোল ব্যবহার পেনিসিলিন প্রায়ই ব্যবহৃত হয় পেনিসিলিন জি, প্রকেইন পেনিসিলিন, বেঞ্জেথিন পেনিসিলিন, এবং পেনিসিলিন V হিসেবে। প্রকেইন পেনিসিলিন, বেঞ্জেথিন পেনিসিলিন একই কার্যকারিতা দেয়,তবে বেঞ্জেথিন পেনিসিলিন এর কার্যকারিতা দীর্ঘ। পেনিসিলিন V হল গ্রাম-ঋণাত্মক ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে কম কার্যকারি,যেখানে বেঞ্জেথিন পেনিসিলিন বেশি কার্যকর। পেনিসিলিন V কে মূখে প্রদান করা যায়, কিন্তু বেঞ্জেথিন পেনিসিলিন ইনজেকশন দ্বারা প্রদও। উৎপাদন পেনিসিলিন পেনিসিলিনিয়ম প্রজাতির জৈবিক কার্যকলার মাঝে উৎপাদিত আপ্রোযনিও উৎপাদন এবং যখন ছত্রাক বৃদ্ধি উপর জোর বাধার হয় তখন এটি উত্পাদিত হয়। এটি ছত্রাক এর স্বাভাবিক বৃদ্ধির সময় উত্পাদিত হয় না। পেনিসিলিন উৎপাদন আন্তক্রিয়া শিল পথে সীমাবদ্ধঃ α- + AcCoA → homocitrate→ L-α-অ্যামাইনো অ্যাডিপিক অ্যাসিড → L-লাইসিন + β-ল্যক্টাম ইতিহাস ১৯২৯ সালে স্কটিশ বিজ্ঞানী এবং নোবেল বিজয়ী আলেকজান্ডার ফ্লেমিং পেনিসিলিন আবিষ্কার করেন। একটি দুর্ঘটনা থেকে এর আবিষ্কার। ঔষধ হিসাবে ব্যবহারের জন্য পেনিসিলিন এর উন্নতিতে দাবিদ্বার অস্ট্রেলিয়ান হাওয়ার্ড ওয়াল্টার ফ্লররি, একসাথে জার্মান নোবেল বিজয়ী আর্নেস্ট অ্যান্ড চেন এবং ইংরেজি প্রাণরসায়নবিদ নর্মান হিটলে। উন্নতি তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:ঔষধ প্রস্তুতি ও ব্যবহার বিজ্ঞান বিষয়শ্রেণী:অ্যান্টিবায়োটিক
পেনিসিলিন
বস্ত্র বলতে শরীরের বিভিন্ন অংশের কৃত্রিম আচ্ছাদনকে বোঝায়। পৃথিবীর সব সমাজেই বস্ত্রের প্রচলন আছে। মানুষেরা কাজের সুবিধার জন্য, আবহাওয়ার বৈরিতা থেকে রক্ষা পেতে, এবং সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কারণে বিভিন্ন ধরনের বস্ত্র পরিধান করে থাকে। প্রাথমিক ব্যবহার লোকেরা কখন পোশাক পরা শুরু করলো এ নিয়ে বিজ্ঞানীরা বিতর্ক করছেন। বিভিন্ন বিশেষজ্ঞের অনুমান ৪০,০০০ থেকে ৩০ লক্ষ বছর আগে। দেহের উকুনের বিবর্তনের সাথে জড়িত আরও সাম্প্রতিক কিছু গবেষণা আরও সাম্প্রতিক বিকাশের পর কেউ কেউ বলছেন ১৭০,০০০ বছর আগে এবং অন্যরা বলছেন অত না ৪০,০০০ এর কম। কোনও একক অনুমান ব্যাপকভাবে গৃহীত হয় নি। তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:বস্ত্র
বস্ত্র
200px|right|thumb|সম্রাট মেইজী মেইজি যুগ বলতে জাপানের সম্রাট মেইজির ৪৫ বছরের শাসনকালকে নির্দেশ করা হয়। এই সময়কাল ১৮৬৮ থেকে ১৯১২ সাল পর্যন্ত বজায় ছিল। এই সময়কালকে "জাপানের আধুনিকায়নের" যুগ হিসেবে অভিহিত করা হয়।শুধু তাই নয়, এই সময়ে বিশ্বের ইতিহাসে জাপান নিজেদেরকে একটি প্রথম সারির ক্ষমতাধর রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে। ১৯১২ সালে সম্রাট মেইজির মৃত্যুর পর সম্রাট তাইশো সিংহাসনে আরোহণ করলে এই যুগের অবসান হয় এবং তাইশো যুগের সূচনা হয়। আরো দেখুন জাপানের ইতিহাস জাপানের আধুনিকায়ন জাপান সাম্রাজ্য বিষয়শ্রেণী:জাপানের ইতিহাস তথ্যসূত্র
মেইজি যুগ
ফ্যাটবয় স্লিম, নরম্যান কুক নামের এই ইংরেজ সংগীতজ্ঞ জন্ম গ্রহণ করেন কুয়েনটিন লিও কুক এ ১৯৬৩ সনের ৩১ জুলাই। ড্যান্স মিউজিক মূলতঃ তার ক্ষেত্র। তার গানের ধরনটি big beat নামে পরিচিত যা হিপ হপ, ব্রেকবিট, রক, ট্রেন্স, রিদম এন্ড ব্লুজ এর সমন্বয়। ইতিহাস কুয়েনটিন লিও কুক রিগেট, সারে ইংল্যানডের রিগেট গ্রামার স্কুলে পড়াশোনা করেন।তিনি তার প্রতিবেশী এনড্রু থমাস ও সাহিত্যের ছাত্র আইয়ান ম্যকে কে নিয়ে পারঅকসাইড নামে ১টি পান্ক ফানজিন শুরু করেন। রেকর্ডিংস: পরিবেশন বায়োগ্রাফি পুরস্কার/সম্মাননা এলবামসমূহ সংযোগ উইকিen বিষয়শ্রেণী:বিদেশী ব্যান্ড বিষয়শ্রেণী:ইংরেজ সঙ্গীত দল বিষয়শ্রেণী:এমটিভি ইএমএ বিজয়ী বিষয়শ্রেণী:রিমিক্সার বিষয়শ্রেণী:ব্রিট পুরস্কার বিজয়ী
ফ্যাটবয় স্লিম
সের্গেই আইজেনস্টাইন (; ২৩ জানুয়ারি, ১৮৯৮ - ১১ ফেব্রুয়ারি, ১৯৪৮) সোভিয়েত চলচ্চিত্র পরিচালক এবং চলচ্চিত্র তাত্ত্বিক। তার বিখ্যাত চলচ্চিত্র হচ্ছে ব্রনিয়েনোসেৎস পটিয়োমকিন‎, অক্টোবর: দিসিত দিনি কাতরয় পুত্রিস্লি মির, আলেক্সান্দ্‌র নেভ্‌স্কি এবং ইভান গ্রোজ্‌নি। তার চলচ্চিত্রে মন্তাজের অসাধারণ ব্যবহার দেখা যায়। মাত্র আটটি ছবি করে বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ 'চিত্র পরিচালক আখ্যায়িত হন তিনি। যদিও তিনি চিত্রনাট্য ও প্রকল্প রচনা করেছেন প্রায় পঞ্চাশের ওপর যেগুলোর একটিও বাস্তবের মাটিতে পা রাখেনি। জীবনী প্রারম্ভিক জীবন thumb|upright|left|মিখাইল ও জুলিয়া আইজেনস্টাইনের সাথে শিশু সের্গেই। আইজেনস্টাইন ১৮৯৮ সালের ২৩ জানুয়ারি লাটভিয়ার রিগায় (তৎকালীন রুশ সাম্রাজ্যের অন্তর্গত লিভোনিয়া গভর্নরেট) এক মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। কিন্তু তার পরিবার তার শৈশবে বেশ ক'বার বসতি পরিবর্তন করেন, আইজেনস্টাইন নিজেও পরবর্তীতে এই ধারা বজায় রাখেন। তার পিতা মিখাইল ওসিপোভিচ আইজেনস্টাইন জার্মান ইহুদি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ওসিপোভিচের পিতা ওসিপ আইজেনস্টাইন পরে খ্রিস্টান ধর্ম গ্রহণ করেন এবং তার মাতা ছিলেন সুইডিশ বংশোদ্ভূত। সের্গেইয়ের মাতা জুলিয়া ইভানোভ্‌না কনেৎস্কায়া রুশ গোঁড়া পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। অন্য একটি সূত্র মতে তার দাদা-দাদী দুজনেই বাল্টিক জার্মান বংশোদ্ভূত ছিলেন। আইজেনস্টাইনের পিতা ছিলেন একজন স্থাপত্যশিল্পী এবং মাতা ছিলেন একজন ধনাঢ্য ব্যবসায়ীর কন্যা। জুলিয়া ১৯০৫ সালে রুশ বিপ্লবের সময় সের্গেইকে নিয়ে রিগা ছেড়ে সেন্ট পিটার্সবার্গে চলে যান। আইজেনস্টাইন মাঝে মাঝে তার পিতার সাথে দেখা করতে আসত। তার পিতা ১৯১০ সালে সেন্ট পিটার্সবার্গে যান। তার পিতা মাতার বিচ্ছেদের পর তার মাতা জুলিয়া ফ্রান্সে চলে যান। আইজেনস্টাইন গোঁড়া খ্রিস্টান হিসেবে বেড়ে ওঠেন, কিন্ত পরে তিনি নিজেকে নাস্তিক দাবী করেন। আইজেনস্টাইন পেত্রোগ্রাদ ইনস্টিটিউট অব সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্থাপত্য ও প্রকৌশল বিষয়ে অধ্যয়ন করেন। ১৯১৮ সালে তিনি স্কুল ত্যাগ করে বলশেভিক বিপ্লবে যোগ দিতে রেড আর্মিতে যোগ দেন, যদিও তার পিতা মিখাইল বিরোধী দলকে সমর্থন করতেন। এই বিপ্লবে জারতন্ত্রের পতন হলে তার পিতা জার্মানিতে চলে যান এবং সের্গেই পেত্রোগ্রাদ থেকে ভলগ্‌দা ও দিভিনস্কে যান। ১৯২০ সালে অক্টোবর বিপ্লবের প্রচারণামূলক সাফল্যের পর সের্গেইকে মিন্‌স্কে কমান্ড পজিশনে স্থানান্তরিত করা হয়। এই সময়ে তিনি কাবুকি থিয়েটারে যোগ দেন এবং জাপানি ভাষা শিখেন। সেখানে তিনি ৩০০ কাঞ্জি বর্ণ শিখেন, যা তাকে তার চিত্র উন্নয়নের কাজে অনুপ্রেরণা জোগিয়েছে বলে উল্লেখ করেন। এই শিক্ষার ফলে তিনি জাপানেও ভ্রমণ করেন। চলচ্চিত্র তালিকা দিনিভ্‌নিক গ্লুমভা (১৯২৩) স্ত্রাচ্‌কা (১৯২৫) ব্রনিয়েনোসেৎস পটিয়োমকিন‎ (১৯২৫) অক্টোবর: দিসিত দিনি কাতরয় পুত্রিস্লি মির (১৯২৮) স্ত্রারয় ই নোভয় (১৯২৯) দাজদ্রোভোয়েত মেক্সিকা! (১৯৩৭) বিঝিন ওগ (১৯৩৭) আলেক্সান্দ্‌র নেভ্‌স্কি (১৯৩৮) ইভান গ্রোজ্‌নি (১৯৪৪-৪৬) প্রকাশিত গ্রন্থ ফিল্ম সেন্স (১৯৪২), নিউ ইয়র্ক: হার্টকোর্ট; অনুবাদক - জে লেডা। ফিল্ম ফর্ম: এসেজ ইন ফিল্ম থিওরি (১৯৪৯), নিউ ইয়র্ক: হার্টকোর্ট; অনুবাদক - জে লেডা। নোটস অব অ্যা ফিল্ম ডিরেক্টর (১৯৫৯), ফরেন ল্যাঙ্গুয়েজ পাব. হাউজ; অনুবাদক - এক্স. ডাঙ্কো। দাজদ্রোভোয়েত মেক্সিকা! (১৯৭২), নিউ ইয়র্ক: আর্নো, ISBN 978-0-405-03916-4। টোয়ার্ড্‌স আ থিওরি অব মন্তাজ (১৯৯৪), ব্রিটিশ ফিল্ম ইনস্টিটিউট। দ্য ফিল্ম ফ্যাক্টরি: রাশিয়ান অ্যান্ড সোভিয়েত সিনেমা ইন ডকুমেন্টস, ১৮৯৬-১৯৩৯ (১৯৯৪), নিউ ইয়র্ক: রটলেজ, ISBN 0-415-05298-X; সম্পাদক - ইয়ান ক্রিস্টি ও রিচার্ড টেলর। পুরস্কার ও সম্মাননা ওর্দেন লেনিন ১৯৩৯: চলচ্চিত্র পরিচালক - আলেক্সান্দ্‌র নেভ্‌স্কি (১৯৩৮) চলচ্চিত্রের জন্য স্তালিন পুরস্কার ১৯৪১: চলচ্চিত্র পরিচালক - আলেক্সান্দ্‌র নেভ্‌স্কি (১৯৩৮) চলচ্চিত্রের জন্য ১৯৪৬: চলচ্চিত্র পরিচালক - ইভান গ্রোজ্‌নি'' (১৯৪৪) চলচ্চিত্রের জন্য তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ Discussion with Stalin regarding Ivan the Terrible Eisenstein on Google video Sergei Eisenstein Is Dead In Moscow; New York Times বিষয়শ্রেণী:১৮৯৮-এ জন্ম বিষয়শ্রেণী:১৯৪৮-এ মৃত্যু বিষয়শ্রেণী:চলচ্চিত্র তাত্ত্বিক বিষয়শ্রেণী:জার্মান-ইহুদি বংশোদ্ভূত রুশ ব্যক্তি বিষয়শ্রেণী:নির্বাক চলচ্চিত্র পরিচালক বিষয়শ্রেণী:বাল্টিক জার্মান বংশোদ্ভূত রুশ ব্যক্তি বিষয়শ্রেণী:রিগার ব্যক্তি বিষয়শ্রেণী:রুশ উদ্ভাবক বিষয়শ্রেণী:রুশ নাস্তিক বিষয়শ্রেণী:রুশ মার্কসবাদী বিষয়শ্রেণী:রুশ ও সোভিয়েত মঞ্চ পরিচালক বিষয়শ্রেণী:লাটভীয় বংশোদ্ভূত রুশ ব্যক্তি বিষয়শ্রেণী:স্তালিন পুরস্কার বিজয়ী বিষয়শ্রেণী:সুইডিশ বংশোদ্ভূত রুশ ব্যক্তি বিষয়শ্রেণী:সোভিয়েত চলচ্চিত্র পরিচালক বিষয়শ্রেণী:রুশ সাম্যবাদী বিষয়শ্রেণী:রুশ পুঁজিবাদ বিরোধী
সের্গেই আইজেনস্টাইন
thumb|right ডয়চে লুফ্‌টহানজা এ.জি. (জার্মান Deutsche Lufthansa AG ডয়্‌চে লুফ়্‌‌ট্‌হান্‌জ়া এজি) জার্মানির বৃহত্তম ও ইউরোপের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিমানসংস্থা; ইউরোপে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের পরেই এর স্থান। অন্যদিকে সাবসিডিয়ারি সহ বিমানসংস্থাটি যাত্রী বহন কিংবা ফ্লীট এর আকার অনুসারে ইউরোপের সবচেয়ে বড় বিমানসংস্থা৷ লুফথানসা এয়ারলাইন্সটির বিমানসমূহ ১৮ টি অভ্যন্তরীণ গন্তব্যস্থল এবং আফ্রিকা, আমেরিকা, এশিয়া ও ইউরোপ মহাদেশের ৮১ টি দেশের ১৯৩ টি গন্তব্যস্থলে যাতায়াত করে থাকে৷ লুফ্‌টহানজা-র প্রধান অফিস জার্মানির কোলন শহরে। এর প্রধান বিমানবন্দর ও ট্র্যাফিক হাব (hub) হচ্ছে ফ্রাঙ্কফুর্ট আম মাইন (জার্মান Frankfurt am Main) শহরের ফ্রাঙ্কফুর্ট আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, এবং দ্বিতীয় হাব হচ্ছে মিউনিখ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। লুফ্‌টহানজা সুইস ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্‌স ক্রয় করার পর জুরিখ হবে এই বিমানসংস্থার তৃতীয় হাব। ইতিহাস লুফথানসা এয়ারলাইন্স এর যাত্রা শুরু হয় ১৯২৬ সালে বার্লিনে জার্মান এয়ার হানসা (১৯৩৩ সাল হতে এটি জার্মান লুফথানসা নামেই বেশি পরিচিত হয়) প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে৷ এয়ারলাইন্সটি ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত জার্মানির জাতীয় বিমান সংস্থা ছিলো৷ নাৎসী বাহিনী পরাজিত হওয়ার পর বিমানসংস্থাটির সকল সার্ভিস স্থগিত করা হয়৷ নতুন একটি জাতীয় বিমানসংস্থা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ১৯৫৩ সালের ৬ জানুয়ারী জার্মানির কোলনে একটি কোম্পানি লুফটেগ প্রতিষ্ঠিত হয়৷ কোম্পানিটির অনেক কর্মীই পূর্বের লুফথানসাতে কর্মী হিসাবে ছিলেন৷ পশ্চিম জার্মানি তখন পর্যন্ত তার আকাশপথ ব্যবহারের অনুমতি পায়নি৷ তাই নতুন এয়ারলাইন্সটি কখন তার কার্যক্রম শুরু করতে পারবে, তা জানা ছিলো না৷ তা সত্ত্বেও ১৯৫৩ সালে লুফটেগ কোম্পানিটি চারটি কনভেয়ার সিভি-৩৪০এস এবং চারটি লকহীড এল-১০৪৯ সুপার কনস্টালেশন এর অর্ডার দেয় এবং হামবুর্গ এয়ারপোর্টে একটি রক্ষণাবেক্ষন কেন্দ্র স্থাপন করে৷ ১৯৫৪ সালে লুফটেগ জার্মান মার্ক ৩০,০০০(বর্তমানে প্রায় ৬৮,০০০ ইউরো) এর বিনিময়ে পূর্বের জার্মান লুফথানসার নাম ও লোগো ব্যবহারের অনুমতিপ্রাপ্ত হয়৷[২] এভাবেই পরবর্তীতে এটি লুফথানসা এয়ারলাইন্স হয়ে উঠে৷ ১৯৫৫ সালের ১ এপ্রিল লুফথানসা দেশের অভ্যন্তরে ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি লাভ করে৷ প্রথমদিকের গন্তব্যস্থলগুলো ছিলো হামবুর্গ, ফ্রাঙ্কফুর্ট, কোলন, মিউনিখ ইত্যাদি শহর৷ কর্পোরেট বিষয়সমূহ মালিকানা ২০১৪ সালে প্রকাশিত বার্ষিক প্রতিবেদনে লুফথানসা প্রকাশ করে যে এর প্রায় ৬০% শেয়ারের মালিক প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী এবং প্রায় ৪০% শেয়ারের মালিক ব্যক্তিগত বিনিয়োগকারীগণ৷ ২০১৪ সালের ৩১ এ ডিসেম্বর অনুযায়ী সংস্থাটির কর্মী সংখ্যা ছিলো ১,১৮,৭৮১ জন৷ প্রধান কার্যালয় লুফথানসার সম্মিলিত প্রধান কার্যালয় হচ্ছে জার্মানির কোলনে৷ ১৯৭১ সালে দ্যা নিউ ইয়র্ক টাইমস এর লরেন্স ফেলোস কোলনে অবস্থিত নতুন প্রধান কার্যালয় ভবন, যার নাম ছিলো “গ্লিমিং”, এর বর্ণনা দেন৷ ১৯৮৬ সালে টেরোরিস্টরা ভবনটিতে বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়৷ এ ঘটনায় অবশ্য কেউ আহত হননি৷ ২০০৬ সালে কোলন শহরের অন্যত্র লুফথানসার নতুন প্রধান কার্যালয় ভবনের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করা হয়৷ ২০০৭ সালের শেষের দিকে লুফথানসা তার ৮০০ কর্মী এবং ফাইন্যান্স ডিপার্টমেন্ট নতুন ভবনে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নেয়৷ যাহোক, ২০১৩ সালের প্রথমদিকে লুফথানসা এয়ারলাইন্স এর প্রধান কার্যালয় ২০১৭ সালের মধ্যে কোলন হতে ফ্রাঙ্কফুর্টে স্থানান্তরের পরিকল্পনার কথা ব্যক্ত করে৷ লুফথানসার অনেকগুলো বিভাগ এর প্রধান কার্যালয়ে অবস্থিত নয়৷ এর পরিবর্তে বিভাগগুলো ফ্রাঙ্কফুর্ট এয়ারপোর্টে অবস্থিত লুফথানসা এভিয়েশন সেন্টার এ অবস্থিত৷ এ বিভাগগুলোর মধ্যে রয়েছে কর্পোরেট কমিউনিকেশান, ইনভেস্টর রিলেশান এবং মিডিয়া রিলেশান ইত্যাদি৷ গন্তব্যস্থলসমূহ ২০১৬ সালের মে মাস অনুসারে লুফথানসা এয়ারলাইন্স এর বিমানসমূহ দেশের অভ্যন্তরে ১৮ টি গন্তব্যস্থলে এবং আফ্রিকা, আমেরিকা, ইউরোপ ও এশিয়া মহাদেশের ৮১ টি দেশের ১৯৩ টি আন্তর্জাতিক গন্তব্যস্থলে যাত্রীবহন ও মালামাল পরিবহন করে থাকে৷ লুফথানসার পক্ষ হতে প্রাইভেট এয়ার পরিচালিত ফ্লাইটগুলোও এর মধ্যে অন্তর্ভূক্ত৷ লুফ্‌টহানজা এইসব মহাদেশ, দেশ, ও বিমানবন্দরে ওড়ে: আফ্রিকা এশিয়া পূর্ব এশিয়া গণচীন জাপান উত্তর কোরিয়া দক্ষিণ এশিয়া ভারত বাঙ্গালোর - এইচ.এ.এল. বাঙ্গালোর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর চেন্নাই - চেন্নাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিল্লি - ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হায়দ্রাবাদ - হায়দ্রাবাদ বেগুম্পেট বিমানবন্দর কলকাতা - নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর মুম্বাই - ছত্রপতি শিবাজি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পাকিস্তান লাহোর - আল্লামা ইকবাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (শুধু কার্গো) দক্ষিণপূর্ব এশিয়া দক্ষিণপশ্চিম এশিয়া ইউরোপ অস্ট্রিয়া বেলারুশ বেলজিয়াম বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা বুলগারিয়া ক্রোয়েশিয়া সাইপ্রাস চেক প্রজাতন্ত্র ডেনমার্ক এস্তোনিয়া ফিনল্যান্ড ফ্রান্স জার্মানি বার্লিন - টেগেল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ব্রেমেন - ব্রেমেন বিমানবন্দর কলোন/বন - কলোন বন বিমানবন্দর ড্রেসডেন (ড্রেসডেন ক্লোৎস্‌শে বিমানবন্দর) ডর্টমুন্ট - ডর্টমুন্ট বিমানবন্দর ডুসেলডর্ফ - ডুসেলডর্ফ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ফ্রাঙ্কফুর্ট - ফ্রাঙ্কফুর্ট আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ফ্রিড্রিক্সহাফেন - ফ্রিড্রিক্সহাফেন বিমানবন্দর হামবুর্গ - হামবুর্গ বিমানবন্দর হানোভার - (হানোভার/লাঙেনহাগেন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর) হোফ - হোফ-প্লাউয়েন বিমানবন্দর লাইপসিক/হাল - লাইপসিক/হাল বিমানবন্দর মিউনিখ - মিউনিখ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর মুন্সটের/ওসনাব্রুক - মুন্সটের ওসনাব্রুক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নুরেমবুর্ক - নুরেমবুর্ক বিমানবন্দর পাদেরবোর্ন - পাদেরবোর্ন লিপ্‌স্তাৎ এয়ারপোর্ট ষ্টুটগার্ট ষ্টুটগার্ট বিমানবন্দর ভেস্টেরলান্ট - সিল্ট বিমানবন্দর গ্রীস হাঙ্গেরি আয়ারল্যান্ড ইতালি লাতভিয়া লিথুয়ানিয়া মালতা নেদারল্যান্ড নরওয়ে পোল্যান্ড পর্তুগাল রোমানিয়া রাশিয়া সার্বিয়া স্লোভাকিয়া স্পেন সুইডেন ইয়ত্তেবরি - ইয়ত্তেবরি লান্দভেত্তের বিমানবন্দর স্টকহোল্ম - স্টকহোল্ম আর্লান্দা বিমানবন্দর সুইজারল্যান্ড তুরস্ক ইউক্রেন যুক্তরাজ্য ক্রাউন ডেপেন্ডেন্সিজ গার্ন্সি - গার্ন্সি বিমানবন্দর (শুধু গ্রীষ্মকালে) যুক্তরাজ্য ইংল্যান্ড বার্মিংহাম - বার্মিংহাম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর লন্ডন লন্ডন সিটি বিমানবন্দর লন্ডন হিথরো বিমানবন্দর লন্ডন স্ট্যান্‌স্টেড বিমানবন্দর (শুধু কার্গো) ম্যানচেস্টার - ম্যানচেস্টার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নিউকাসেল - নিউকাসেল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর স্কটল্যান্ড এডিনবরা - এডিনবরা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর উত্তর আমেরিকা দক্ষিণ আমেরিকা ভারতে লুফ্‌টহানজা ফ্রাঙ্কফুর্ট থেকে সরাসরি যায় ভারতের বাঙ্গালোর, চেন্নাই, দিল্লী, হায়দ্রাবাদ ও মুম্বাই শহরে। ১ ডিসেম্বর ২০০৬ থেকে ফ্রাঙ্কফুর্ট-কলকাতা সরাসরি ফ্লাইট আরম্ভ হয়েছে। ২ ডিসেম্বর ২০০৬ থেকে কলকাতা থেকে লন্ডন, প্যারিস ও নিউ ইয়র্কেও ফ্লাইট শুরু হয়েছে। কোডশেয়ার চুক্তি নিচের এয়ারলাইন্স গুলোর সাথে লুফথানসা এয়ারলাইন্সের কোড শেয়ার চুক্তি বিদ্যমান রয়েছে৷ আন্দ্রিয়া এয়ারওয়েজ এয়ার কানাডা এয়ার চায়না এয়ার ইন্ডিয়া এয়ার মাল্টা এয়ার নিউজিল্যান্ড অল নিপ্পন এয়ারওয়েজ অস্ট্রিয়ান এয়ারলাইন্স বিএমআই রিজিওনাল ব্রাসেলস এয়ারলাইন্স কোপা এয়ারলাইন্স ক্রোয়েশিয়া এয়ারলাইন্স ইজিপ্ট এয়ার ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্স ইতিহাদ এয়ারওয়েজ জাপান এয়ারলাইন্স ইরান এয়ার সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স থাই এয়ারওয়েজ ইউনাইটেড এয়ারলাইন্স তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ লুফ্‌টহানজা লুফ্‌টহানজা ভারত লুফ্‌টহানজা যুক্তরাষ্ট্র লুফ্‌টহানজা যুক্তরাজ্য ডয়চে লুফ্‌টহানজা বার্লিন স্তিফ্‌তুং লুফ্‌টহানজা ফ্লীট লুফ্‌টহানজা ফ্লীট এজ বিষয়শ্রেণী:জার্মানির বিমান পরিবহন সংস্থা বিষয়শ্রেণী:আইএটিএ সদস্য বিষয়শ্রেণী:ইউরোপীয় বিমান পরিবহন সংস্থার সদস্য
লুফ্‌টহানজা
পুনর্নির্দেশ কালপুরুষ (তারামণ্ডল)
কালপুরুষ মন্ডল
ওল্ড ট্রাফোর্ড (স্যার ববি চার্লটন যার ডাকনাম দিয়েছিলেন স্বপ্নের থিয়েটার) একটি ফুটবল মাঠ যা ১৯১০ সাল থেকে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হোম গ্রাউন্ড হিসেবে ব্যবহৃত হয়। তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ Ariel shot of Old Trafford Image Gallery and Additional Information Images and Information about stadium history Fan Photos from Old Trafford বিষয়শ্রেণী:যুক্তরাজ্যের ফুটবল মাঠ বিষয়শ্রেণী:ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ফুটবল ক্লাব বিষয়শ্রেণী:প্রিমিয়ার লীগের মাঠ
ওল্ড ট্রাফোর্ড (ফুটবল)
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের সবচেয়ে পুরানো বিশ্ববিদ্যালয়। এ বিশ্ববিদ্যালয়টি ১৯২১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ যাবৎ ২৬জন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করেছেন। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান উপাচার্য মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ভারতীয় ও মুসলমান উপাচার্য স্যার এ এফ রাহমান। তারপর উপাচার্য হন প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ অধ্যাপক রমেশচন্দ্র মজুমদার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের মধ্যে প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হন ড. সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন । একাত্তরের মার্চ মাসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের অধিবেশনে যোগদানের জন্য জেনেভা যান। সেখানে জেনেভার একটি পত্রিকায় দু’জন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রের মৃত্যু সংবাদ দেখে বিচলিত হয়ে ২৫ মার্চ পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক শিক্ষা সচিবকে পাকিস্তান দূতাবাসের মাধ্যমে প্রেরিত এক পত্রে লেখেন, “আমার নিরস্ত্র ছাত্রদের উপর গুলি চালানোর পর আমার ভাইস চ্যান্সেলর থাকার কোন যুক্তিসংগত কারণ নেই। তাই আমি পদত্যাগ করলাম”। ফলে মার্চের সেই কালরাত্রীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছিল উপাচার্য বিহীন। পরে মুজিবনগর সরকার বিচারপতি সাঈদকে “প্রবাসী সরকারের বিশেষ প্রতিনিধি” হিসেবে নিয়োগ দেয়। পাকিস্তান বাহিনী রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য ড. সৈয়দ সাজ্জাদ হোসায়েনকে তাদের কনভয়ে করে ঢাকায় নিয়ে এসে ১৯ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পদে বসান। তাকে সহায়তা করেন ড. হাসান জামান, ড. মেহের আলি। স্বাধীনতার পর তিনজনই গ্রেফতার হন এবং মুক্তির পর দেশ ত্যাগ করেন। উপাচার্যদের তালিকা তথ্যসূত্র আরো দেখুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস মুক্তিযুদ্ধ বহিঃসংযোগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বিষয়শ্রেণী:ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বিষয়শ্রেণী:ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের তালিকা
অধ্যাপক এমাজউদ্দিন আহমদ (১৫ ডিসেম্বর ১৯৩৩ – ১৭ জুলাই ২০২০) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানী। তিনি ১৯৯২ সালে একুশে পদক লাভ করেন। জন্ম প্রফেসর ড. এমাজউদ্দিন আহমদ ১৯৩৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর তৎকালীন মালদহ (চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও ভারতের কিছু অংশ) জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদরের ‘গোহাল বাড়ি’ এলাকায় পরিবারসহ দীর্ঘদিন বসবাস করেন প্রফেসর এমাজউদ্দিন। তিনি শিবগঞ্জের আদিনা সরকারি ফজলুল হক কলেজ ও রাজশাহী কলেজের প্রাক্তন ছাত্র। সাংগঠনিক তৎপরতা মহান ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে, ১৯৫২ এর পরবর্তী সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ছাত্রনেতা হিসেবে অধ্যাপক এমাজউদ্দিন আহমেদ কারাবরণও করেন। যুক্তরাষ্ট্র কেন্দ্রিক নব্বই দশকের সর্বাপেক্ষা ‘প্রশংসিত বাঙালি ব্যক্তিত’ ছিলেন। কর্ম জীবন রাজশাহী কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করার পর তিনি সরকারী কলেজের প্রভাষক হিসাবে সিভিল সার্ভিসে যোগদান করেন। তিনি পরে কলেজের অধ্যক্ষ হন। ১৯৭০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে তাকে কানাডার অন্টারিওর কুইন্স বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক বৃত্তি দেওয়া হয়েছিল। সেখানে তিনি রাষ্ট্রবিজ্ঞানে গবেষণার জন্য পিএইচডি লাভ করেন। পরে সেখান থেকে বাংলাদেশে ফিরে এসে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের জ্যেষ্ঠ প্রভাষক হিসাবে যোগদান করেন। পরে তিনি অধ্যাপক হন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য এবং উপাচার্য (১ নভেম্বর ১৯৯২-৩১ আগস্ট ১৯৯৬) হিসেবে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিভার্সিটি অব ডেভেলপমেন্ট অল্টারনেটিভ (ইউডা) ভিসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া তিনি এশিয়াটিক সোসাইটি অব বাংলাদেশের সাথেও কাজ করেছেন প্রকাশনা তিনি দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে তুলনামূলক রাজনীতি, প্রশাসন-ব্যবস্থা, বাংলাদেশের রাজনীতি, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি, দক্ষিণ এশিয়ার সামরিক বাহিনী সম্পর্কে গবেষণা করেছেন। এসব ক্ষেত্রে সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ায় তিনি বিশেষজ্ঞ হিসেবেও প্রখ্যাত। তার লিখিত গ্রন্থের সংখ্যা অর্ধশতাধিক। দেশ বিদেশের খ্যাতনামা সাময়িকীতে তার প্রকাশিত গবেষণামূলক প্রবন্ধের সংখ্যা শতাধিক। তার লিখিত গ্রন্থগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল: রাষ্ট্র বিজ্ঞানের কথা(১৯৬৬) মধ্যযুগের রাষ্ট্র চিন্তা (১৯৪৫) তুলানামূলক রাজনীতি: রাজনৈতিক বিশ্লেষণ (১৯৮২) বাংলাদেশে গণতন্ত্র সংকট (১৯৯২) সমাজ ও রাজনীতি (১৯৯৩) গণতন্ত্রের ভবিষৎ ( ১৯৯৪) শান্তি চুক্তি ও অন্যান্য প্রবন্ধ (১৯৯৮) আঞ্চলিক সহযোগিতা, জাতীয় নিরাপত্তা (১৯৯৯) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও অন্যান্য প্রবন্ধ (২০০০) এছাড়াও ইংরেজিতে অনেক মূল্যবান গ্রন্থ রচনা করেছেন তিনি। সন্মাননা শিক্ষাক্ষেত্রে অবদান এবং সৃজনশীল লেখার জন্যে তিনি দেশ ও বিদেশে বিশেষভাবে সম্মানিত হয়েছেন। সৃষ্টিশীল গবেষণা ও আলেখ্য রচনার জন্য ‘মহাকাল কৃষ্টি চিন্তা সংঘ স্বর্ণপদক’, জাতীয় সাহিত্য সংসদ স্বর্ণপদক, জিয়া সাংস্কৃতিক স্বর্ণপদক অর্জন করেন। শিক্ষাক্ষেত্রে অনবদ্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরুপ বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক ১৯৯২ সালে একুশে পদক, মাইকেল মধুসুদন দত্ত স্বর্ণ পদক, শেরে বাংলা স্মৃতি স্বর্ণপদক, ঢাকা সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক স্বর্ণপদক, বাংলাদেশ যুব ফ্রন্ট স্বর্ণ পদক, রাজশাহী বিভাগীয় উন্নয়ন ফোরাম স্বর্ণপদকসহ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের বহু পুরস্কার-সম্মাননা অর্জন করেন। বই বিতর্ক ২০০৯ সালের একুশে বইমেলাতে প্রকাশিত "মুক্তিযুদ্ধে নারী" নামের বইটি নিয়ে এমাজউদ্দিন আহমেদ সালোচিত হন। বইটির লেখক হিসাবে মেহেদী হাসান পলাশের নাম থাকলেও সম্পাদক হিসাবে এমাজউদ্দিন আহমদ ও জসীমউদ্দিন আহমদের নাম প্রকাশ পায়। ডেইলি স্টার পত্রিকার রিপোর্ট অনুসারে বইটি ২০০৬ সালে ইন্সটিটিউট অফ এনভায়রমেন্ট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট কর্তৃক প্রকাশিত এবং রোকেয়া কবীর ও মুজিব মেহেদী রচিত "মুক্তিযুদ্ধ ও নারী" বইয়ের হুবুহু নকল। এমাজউদ্দিন আহমদ ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন, বইটি যে নকল, তা সম্পর্কে তিনি অবগত ছিলেন না। মৃত্যু ২০২০ সালের ১৭ জুলাই মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত কারণে ঢাকার ল্যাব এইড হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:১৯৩২-এ জন্ম বিষয়শ্রেণী:২০২০-এ মৃত্যু বিষয়শ্রেণী:চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ব্যক্তি বিষয়শ্রেণী:রাজশাহী কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থী বিষয়শ্রেণী:ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশী পুরুষ লেখক বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশী শিক্ষাবিদ বিষয়শ্রেণী:ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিষয়শ্রেণী:বাংলা একাডেমির সম্মানিত ফেলো বিষয়শ্রেণী:শিক্ষা ও গবেষণায় একুশে পদক বিজয়ী
এমাজউদ্দিন আহমদ
পুনর্নির্দেশ আকাশগঙ্গা ছায়াপথ
Milky Way
right|thumb|পাহারারত অবস্থায় সুইস গার্ড বাহিনীর সদস্যবৃন্দ সুইস গার্ড হল পোপ এবং ভ্যাটিকান সিটির নিরাপত্তা এবং শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত নিয়মিত বাহিনী। ১৫০৫ সালে পোপ জুলিয়াস ২ সুইস গার্ড গঠন করেন। ৬ জন কর্মকর্তা এবং ১১০ জন পুরুষ নিয়ে সুইস গার্ড কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। শুধুমাত্র সুইজারল্যান্ডের নাগরিকরাই এতে যোগ দিতে পারেন এবং সর্বনিম্ন পদের গার্ডরা বিয়ে করতে পারেন না। গার্ডের পুরুষরা রঙীন বিশেষ এক ধরনের পোশাক পরেন যা মিকেলএঞ্জেলোর নকশা অনুসারে তৈরি করা হয়। পঞ্চদশ থেকে অষ্টাদশ শতকের মধ্যে সুইস গার্ডের গঠন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। তখন সুইজারল্যান্ডের ভাড়াটে সেনাদল ইউরোপের সবচেয়ে দামী বাহিনী ছিল। এদের মধ্যে আবার সবচেয়ে বিখ্যাত ছিল ফরাসি সেনাবাহিনীর অন্তর্গত সুইস গার্ডরা। এরাই ১৯৭২ সালের ১০ আগস্ট ফরাসি বিপ্লবের সময় বিদ্রোহী সৈন্যদের আক্রমণ থেকে টুইলারি প্রাসাদ (Tuileries Palace) রক্ষা করে। তখন সুইস গার্ডের ৫০০ জন নিহত হয়, কিন্তু তাদের বিরত্ব স্বীকৃতি পায় যার প্রমাণ ১৮২১ সালে সুইজারল্যান্ডের লুসার্ন নগরীর একটি ফটকের বাইরে পাথর কেটে নির্মিত সিংহের ভাস্কর্য। ডেনিশ ভাস্কর বার্টেল থোরভাল্ডসেন এটির নকশা করেন। বিষয়শ্রেণী:ভ্যাটিকান সিটি বিষয়শ্রেণী:অসম্পূর্ণ
সুইস গার্ড
পুনর্নির্দেশ আলেক্সঁদ্র দ্যুমা
আলেকজান্ডার দ্যুমা
thumb|চিচিঙ্গা চিচিঙ্গা বা কইডা বা 'কুুুশি বা হইডা () (বৈজ্ঞানিক নাম: Trichosanthes cucumerina) হচ্ছে ঝিঙের মত কিন্তু আরো লম্বা বা কখনো সাপের মত পেঁচানো, অপেক্ষাকৃত নরম সবজি। এটি ঝিঙে, লাউ, শশা, কুমড়ো ইত্যাদির মতই কিউকারবিটেসি পরিবারের সদস্য। বিবরণ চিচিঙ্গা গাছের পাতা ২৫ সেমি পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে। ফুলগুলি উষ্ণ, সাদা আঁশ নিয়ে রাতে পাপড়ি মেলে , পাপড়িগুলি বন্ধ হয়ে যাওয়ার সময় চুলের মতো সাদা আঁশ গুলো কিছুটা মুটিয়ে আসে, তবে রাতের বেলা সাদা রেখার কারণে নীল রঙের ফলগুলো দেখা যায় (নিচের গ্যালারীতে ফটো দেখুন)। চিচিঙ্গা ফল ২০০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। ফেকে গেলে লাল বর্ণ ধারণ করে এবং বীজ সংগ্রহ করা যায়। এদের একটি জাত হলো জাপানি চিচিঙ্গা। এটি কিছুটা গোলাকৃতির হয় এবং ৭ সেন্টিমিটার পর্যন্ত বৃত্তাকার হয়। চট্টগ্রামে এটিকে হইডা নামে ডাকা হয় চিত্রশালা তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ Trichosanthes cucumerina Linn. improves glucose tolerance and tissue glycogen in non insulin dependent diabetes mellitus induced rats বিষয়শ্রেণী:সবজি বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশের উদ্ভিদ বিষয়শ্রেণী:মায়ানমারের উদ্ভিদ বিষয়শ্রেণী:ভারতের উদ্ভিদ
চিচিঙ্গা
যেসব ব্যঞ্জনধ্বনির উচ্চারণকালে জিহ্বার ডগাটি উল্টিয়ে মূর্ধাটি স্পর্শ করে বা তার কাছে নিকটবর্তী হয় সেগুলোকে মূর্ধন্য বা প্রতিবেষ্টিত ব্যঞ্জনধ্বনি বলা হয়। বর্তমান বাংলা ভাষায় বিশুদ্ধ "মূর্ধন্য" ব্যঞ্জনধ্বনি নেই, অথচ "ট", "ঠ", "ড", "ঢ", "ণ", "ড়", ও "ঢ়" ধ্বনিগুলোর উচ্চারণরীতি প্রাক্তন বাংলায় মূর্ধন্য ও প্রতিবেষ্টিত ছিল। এগুলোর উচ্চারণস্থানটি বর্তমানে দন্তমূলীয় বা পশ্চাদ্দন্তমূলীয়। বিষয়শ্রেণী:আন্তর্জাতিক ধ্বনিমূলক বর্ণমালা বিষয়শ্রেণী:ধ্বনিবিজ্ঞান
মূর্ধন্য ব্যঞ্জনধ্বনি
উইলিয়াম আলফ্রেড ফোলার (আগস্ট ৯, ১৯১১ - মার্চ ১৪, ১৯৯৫) একজন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী মার্কিন জ্যোতিঃপদার্থবিজ্ঞানী। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যের পিট্‌সবার্গে জন্মগ্রহণ করেন। ওহিও স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতক সম্পন্ন করে ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজিতে চলে যান পারমাণবিক পদার্থবিজ্ঞানে পিএইচডি করার জন্য। তার গবেষণা পত্রটি ১৯৫৭ সালে ই. মার্গারেট বারবিজ, জিওফ্রি বারবিজ এবং ফ্রেড হয়েলের সাথে যৌথভাবে প্রকাশিত হয়। তার পত্রে তিনি উল্লেখ করেন কিভাবে তারার কেন্দ্রিন সংশ্লেষণের মাধ্যমে সবচেয়ে হালকা রাসায়নিক মৌলসমূহের প্রাচুর্যের ব্যাখ্যা করা যায়। তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ উইলিয়াম আলফ্রেড ফোলার এর জীবনী Bruce Medal page বিষয়শ্রেণী:১৯১১-এ জন্ম বিষয়শ্রেণী:১৯৯৫-এ মৃত্যু বিষয়শ্রেণী:মার্কিন জ্যোতির্বিজ্ঞানী বিষয়শ্রেণী:নোবেল বিজয়ী পদার্থবিজ্ঞানী বিষয়শ্রেণী:মার্কিন নোবেল বিজয়ী বিষয়শ্রেণী:ন্যাশনাল মেডেল অফ সাইন্স বিজয়ী
উইলিয়াম আলফ্রেড ফাওলার
thumb|right|বিয়র্নস্টের্নে বিয়র্নসন বিয়র্নস্টের্নে বিয়র্নসন (১৮৩২ - ১৯১০) একজন নরওয়েজীয় সাহিত্যিক। তিনি ১৯০৩ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। জীবনী ১৮৩২ সালে নরওয়ের কেভিকনে (Kevi Kne) নামক একটি ছোট্ট পাহাড়ি গ্রামে বিয়র্নসেন জন্মগ্রহণ করেন। তার শৈশব গ্রামেই কেটেছে। স্কুলে অধ্যয়নের সময় তিনি স্যার ওল্টার স্কটের ছোটগল্পগুলো পড়তেন। এর পাশাপাশি তৎকালীন বিখ্যাত অন্যান্য লেখকদের রচনাও অত্যন্ত মনোযোগের সাথে পড়তেন। পড়ার সাথে সাথে তাদের লেখার সূক্ষ্ণ বিশ্লেষণও করতেন। এতে তার মধ্যে লেখালেখির যোগ্যতাও তৈরি হয়। ১৮৫৪ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে তিনি অসলোতে লেখালেখি শুরু করেন। এ সময় মূলত বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় সাহিত্যের সমালোচনা লিখতেন। সাহিত্য সমালোচক হিসেবে বিশেষ পরিচিতি পান। তখন থেকে সমালোচনার পাশাপাশি ফিচার, ট্রবন্ধ ও সামাজিক নাটক লিখতে শুরু করেন। সবচেয়ে বেশি সফলতা পান নাটক লিখতে যেয়ে। এ সময় তিনি রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডেও কিছুটা জড়িয়ে পড়েন। পত্র পত্রিকায় লিখতে যেয়ে সাংবাদিক জীবনের সাথে তার বিশেষ পরিচয় হয়েছিল। পড়াশোনা শেষে তাই সাংবাদিকতাকেই পেশা হিসেবে বেছে নেন। একই সাথে চলে নাট্যচর্চা ও রচনা। নরওয়ের নাট্যশৈলীকে তিনি ডেনীয় প্রভাব থেকে মুক্ত করেন। নাটকের পাশাপাশি কবিতা, গল্প ও উপন্যাস লিখেতে থাকার এক পর্যায়ে তার খ্যাতি নরওয়েময় ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু সুইডেনে তখনও তাকে সুদৃষ্টিতে দেখা হতো না। সুয়েডীয়রা তাকে দাম্ভিক ও অহংকারী বলে ভাবতো। একদিন সুয়েডীয় সংবাদ সম্মেলনে বিয়র্নসন একটি বক্তৃতা দেন যার বিষয় ছিল সুইডেন ও নরওয়ের ভ্রাতৃত্ব ও মৈত্রী। এই বক্তৃতার পর তার সম্পর্কে সুয়েডীয়দের ভ্রান্ত ধারণার অবসান ঘটে। অন্যদিকে ডেনমার্কেও তিনি বিশেষ জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন। ১৮৫৪ সালে বিয়র্নসন অসলোর একটি প্রভাতী দৈনিক পত্রিকা Margenbladet-এ যাত্রার সমালোচক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। ১৮৫৭ সালে বার্জেনেস নর্সকে থিয়েটারের মালিক হিসেবে তার আত্মপ্রকাশ ঘটে। এই বছরই বিয়ে করেন কেরোলিন রেইমার্‌স নামে এক সুন্দরী অভিনেত্রীকে। ১৮৫৯ সালে তিনি বার্জেন থেকে অসলোতে ফিরে আসেন। এখানে Aflenbladet নামে এক সান্ধ্য পত্রিকার সম্পাদক হিসেবে কাজ শুরু করেন। অবশ্য কিছুদিন এই কাজ ছেড়ে দিয়ে ইতালি চলে যান। ১৮৬৫ সালে ইতালি থেকে আবার নরওয়ে ফিরে যান। ফিরে যেয়ে অসলোর ক্রিম্বানিয়া থিয়েটারের প্রধান কর্মকর্তার দায়িত্ব গ্রহণ করেন। বিয়র্নস্টের্নে বিয়র্নসন ১৯১০ সালে ফ্রান্সের প্যারিসে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৭ বছর। সাহিত্যকর্মসমূহ বিয়র্নসনই নরওয়ের প্রথম নাট্যকার যিনি সমাজের অসঙ্গতি, দুর্নীতি ও সামাজিক অবক্ষয় বিষয়গুলোকে নাটকের মধ্যে নিয়ে আসেন।তার গুরুত্বপূর্ণ রচনাগুলোর একটি তালিকা এখানে দেয়া হয়েছে। তার লেখা সবচেয়ে আলোচিত সমালোচিত নাটকের নাম The Gruntle যা ১৮৮৩ সালে প্রকাশিত হয়। তার সর্বশেষ রচনাটিও ছিল একটি নাটক যার নাম When the nw wine bloom। ইংরেজিতে অনূদিত আর্ন: অ্যা স্কেচ অফ সরওয়েজিয়ান কান্ট্রি লাইফ (Arne) - এ. স্ট্রাহান অনূদিত (১৮৬৬) দি হ্যাপি বয়: অ্যা টেইল অফ নর্য়েজিয়ান পিস্যান্ট লাইফ - সিভার, ফ্রান্সিস, অ্যান্ড কোম্পানি কর্তৃক প্রকাশিত (১৮৭০) সিনোভ সোলবাকেন - হাউটন, মিফিন অ্যান্ড কোম্পানি কর্তৃক প্রকাশিত (১৮৮১) দি ওয়েডিং-মার্চ - জি. মানরো অনূদিত (১৮৮২) দি ব্রাইডাল মার্চ, অ্যান্ড আদার স্টোরিস - হাউটন, মিফিন অ্যান্ড কোম্পানি কর্তৃক প্রকাশিত (১৮৮২) ক্যাপ্টেন মানসানা, অ্যান্ড আদার স্টোরিস - হাউটন, মিফিন অ্যান্ড কোম্পানি কর্তৃক প্রকাশিত (১৮৮১) দি ফিশার মেইডেন - রাসমুস বি. অ্যান্ডারসন অনূদিত (১৮৮১) রেইলরোড অ্যান্ড চার্চইয়ার্ড - জি. মানরো অনূদিত (১৮৮২) ম্যানহিল্ড - রাসমুস বি. অ্যান্ডারসন অনূদিত (১৮৮৩) থ্রি কমেডিস - আর. ফার্কুহারসন শার্প অনূদিত (১৯২৫) থ্রি ড্রামাস - (১৯২৪) থ্রি প্লেইস - এডুইন জর্কম্যান অনূদিত (১৮৮৯) তথ্যসূত্র নোবেল প্রাইজ.অরগ (নোবেল পুরস্কারের দাপ্তরিক ওয়েবসাইট) বিয়র্নসেন - নোবেল বিজয়ী সাহিত্যিকরা : আবুল বাশার ফিরোজ; ঐতিহ্য; প্রকাশকাল: ফেব্রুয়ারি, ২০০১ আরও দেখুন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী সাহিত্যিকদের পূর্ণ তালিকা বিষয়শ্রেণী:নোবেল বিজয়ী সাহিত্যিক বিষয়শ্রেণী:নরওয়েজীয় সাহিত্যিক বিষয়শ্রেণী:১৮৩২-এ জন্ম বিষয়শ্রেণী:১৯১০-এ মৃত্যু
বিয়র্নস্টের্নে বিয়র্নসন
মিজানুর রহমান চৌধুরী (১৯ অক্টোবর ১৯২৮ - ২ ফেব্রুয়ারি ২০০৬) বাংলাদেশের একজন রাজনীতিবিদ ছিলেন যিনি রাষ্ট্রপতি এরশাদের আমলে ৯ জুলাই ১৯৮৬ থেকে ২৭ মার্চ ১৯৮৮ পর্যন্ত বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। জন্ম মিজানুর রহমান চৌধুরী ১৯২৮ সালের ১৯ অক্টোবর চাঁদপুর জেলার পুরাণবাজারস্থ পূর্ব শ্রীরামদী গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মরহুম মোঃ হাফিজ চৌধুরী এবং মাতা মরহুমা মোসাম্মৎ মাহমুদা বেগম। রাজনীতি পাকিস্তান আমল কলেজ থেকেই তিনি ছাত্র রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। ১৯৬২ সালে তিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৬২ থেকে ১৯৬৯ পর্যন্ত পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সদস্য ছিলেন। যখন শেখ মুজিবুর রহমান এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ কারাগারে ছিলেন তখন তিনি দলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে।। ১৯৬৭ সালে তিনি নিজেও গ্রেফতার হন। আইয়ুব খানের বিরুদ্ধে আন্দোলনের সময় তিনি সম্মিলিত বিরোধী দলের অন্যতম সংগঠক ছিলেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে তিনি সক্রিয় ভাবে অংশগ্রহণ করেন। স্বাধীন বাংলাদেশ শেখ মুজিবের সরকার ’৭০ এর নির্বাচনে তিনি পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সদস্য হন। স্বাধীন বাংলাদেশে ১৯৭৩ এর সংসদে তিনি সংসদ সদস্য ছিলেন। ১৯৭৩ সালে শেখ মুজিবুর রহমানের মন্ত্রী সভায় তিনি তথ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন। ১৯৭৫ সালে শেখ মুজিব নিহত হলে বাকশাল সরকারের পতন হয় এবং জিয়াউর রহমান সরকার বহুদলীয় রাজনীতির অনুমোদন দিলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ পুনরুজ্জীবিত হয় এবং আবদুল মালেক উকিল এবং মিজানুর রহমান চৌধুরীর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের দু’টি পৃথক ধারার সৃষ্টি হয়। এরশাদের সরকার আশির দশকের শুরু দিকে হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের সামরিক সরকারকে সমর্থন দেন এবং জাতীয় পার্টিতে (সেসময়ের নাম জাতীয় দল)যোগ দেন (১৯৮৪)। ১৯৮৬ তে প্রধানমন্ত্রী হন। এরশাদের রাষ্ট্রপতি থাকা কালীন তিনি দুই বছর প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। মার্চ, ১৯৮৮ তে মওদুদ আহমেদ তার স্থলে প্রধানমন্ত্রী হন। ১৯৯০ সালে এরশাদ ক্ষমতা ছেড়ে দেন। ১৯৯০ তে এরশাদ সরকার পতনের পর এরশাদ জেলে থাকাকালীন তিনি জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। ২০০১ সালে মিজানুর রহমান আওয়ামী লীগে যোগ দেন এবং মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ছিলেন। মৃত্যু ২০০৬ সালে তিনি মৃত্যু বরণ করেন। তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বিষয়শ্রেণী:১৯২৮-এ জন্ম বিষয়শ্রেণী:২০০৬-এ মৃত্যু বিষয়শ্রেণী:প্রথম জাতীয় সংসদ সদস্য বিষয়শ্রেণী:তৃতীয় জাতীয় সংসদ সদস্য বিষয়শ্রেণী:পঞ্চম জাতীয় সংসদ সদস্য বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতিবিদ বিষয়শ্রেণী:চাঁদপুর জেলার রাজনীতিবিদ বিষয়শ্রেণী:শেখ মুজিবুর রহমানের তৃতীয় মন্ত্রিসভার সদস্য বিষয়শ্রেণী:শেখ মুজিবুর রহমানের দ্বিতীয় মন্ত্রিসভার সদস্য বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে জড়িত ব্যক্তিবর্গ বিষয়শ্রেণী:দ্বিতীয় জাতীয় সংসদ সদস্য
মিজানুর রহমান চৌধুরী
জর্দানো ব্রুনো (১৫৪৮–১৭ই ফেব্রুয়ারি, ১৬০০) একজন ইতালীয় দার্শনিক, ধর্মযাজক, বিশ্বতত্ত্ব বিশারদ এবং ওকাল্টিস্ট (গূঢ় রহস্যাদিতে বিশ্বাসী ব্যক্তি)। ব্রুনো তার স্মৃতিবর্ধন পদ্ধতির জন্য বিখ্যাত যা সংগঠিত জ্ঞানের উপর ভিত্তি করে তিনি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তিনি মতবাদ প্রচার করেছিলেন যে, মহাবিশ্ব অসীম এবং এর কোন কেন্দ্র নেই। আর এজন্য প্রচলিত ধর্মের বিরোধিতার (heresy) অপরাধে তাকে পুড়িয়ে মারা হয়। এজন্য অনেকে তাকে চিন্তার মুক্তির জন্য নিবেদিত একজন শহীদ হিসেবে গণ্য করে থাকেন। প্রাথমিক জীবন জিওর্দানো ব্রুনো ১৫৪৮ সালে ইতালির ভিসুভিয়াস পর্বতমালার অদূরে "নোলা" নামক ছোট্ট এক শহরে জন্মহণ করেন। তার জন্মের সময়টা এমন ছিল যে, মধ্যযুগের ধর্মীয় ও দার্শনিক প্রতিক্রিয়াশীলতাও শেষ হয়নি আবার যুক্তিভিত্তিক আধুনিক যুগেরও সূচনা ঘটেনি। সে হিসেবে তার জন্ম এক মহা সন্ধিক্ষণে। সে সময়ের মূল বৈশিষ্ট্য ছিল দর্শনের সাথে বিজ্ঞানের সমন্বয় ঘটেনি। এ কারণে দর্শনচ্যুত বিজ্ঞান বা বিজ্ঞানচ্যুত দর্শনের অন্ধকার যুগ বিরাজ করছিল। এমন সময়েই বিপ্লবী মতবাদ নিয়ে উপস্থিত হন ব্রুনো। উল্লেখ্য ব্রুনোর জন্মস্থান ইতালিতেই ১৩৫০ সাল থেকে ইউরোপীয় পুনর্জাগরণ তথা রেনেসাঁ শুরু হয়েছিল। ব্রুনোর জন্মের সময়ে আরও একটি বিষয় চোখে পড়ে। সে সময় রাজার সাথে গীর্জার বিরোধ খুব একটা জমে উঠেনি এবং পার্লামেন্টের সাথে রাজার বিরোধের সূচনাই হয়নি। প্রোটেস্ট্যান্ট ধর্মের উত্থান ঘটছিল এবং ক্যাথলিক চার্চ সমাজে নিজেদের প্রভাব রক্ষার করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছিল। ব্রুনোর বাবা "জিওভানি ব্রুনো" সৈনিক ছিলেন। অবশ্য ব্রুনোর আলোচনায় পরিবারের বিষয় খুব একটা আসে না। কারণ সারা জীবন তিনি ভবঘুরের মত এক স্থান থেকে অন্য স্থানে ঘুরে বেরিয়েছেন। কখনও পরিবারকেন্দ্রিক জীবন যাপনের কোন চেষ্টা করেননি। আরেকটি বড় কারণ পালিয়ে বেড়ানো। সারা জীবনই তাকে প্রতিক্রিয়াশীল শাসকগোষ্ঠী থেকে পালিয়ে বেড়াতে হয়েছে। ইউরোপের দেশে দেশে তিনি ঘুরে বেড়িয়েছেন। তবে ব্রুনো বিজ্ঞান, দর্শন এবং যুক্তিবাদ নিয়ে এমন সব চিন্তা করেছিলেন যা বিংশ শতাব্দীতে এসে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এজন্যই বলা হয়, ব্রুনো অসময়ে জন্ম নিয়েছিলেন, তার জন্ম আরও অনেক পরে হওয়া উচিত ছিল। বয়স ১৩ বছর হওয়ার পর ব্রুনো নেপ্‌ল্‌সের সেন্ট ডোমিনিকান স্কুলে ভর্তি হন। পরবর্তী ১০ বছর এই বিখ্যাত স্কুলেই পড়াশোনা করেন। সেন্ট টমাস একুইনাস ডোমিনিকান গোত্রের মানুষ ছিলেন এবং এই স্কুলেই শিক্ষকতা করতেন। একুইনাসের প্রভাব অস্বীকার করতে পারেননি ব্রুনো এবং অচিরেই তিনি ডোমিনিকান ধর্মযাজক হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। শপথ গ্রহণের পাশাপাশি "জিওর্দানো" উপাধিটিও গ্রহণ করেন। ১৫৮১সালে তিনি প্যারিসে আসেন। এখানে তিনি ঈশ্বর ও ধর্মতত্ত্ব নিয়ে ত্রিশটির মত বক্তৃতা দেন। ধীরে ধীরে তিনি তাঁর বাগ্মীতা ও অসাধারণ স্মৃতিশক্তির জন্য খ্যাতি লাভ করতে শুরু করেন। শেষ পর্যন্ত তাঁর মেধা রাজা ৩য় হেনরির দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়। প্যারিসে থাকাকালীন ব্রুনো একের পর এক প্রকাশ করেন De umbris idearum (On The Shadows of Ideas, ১৫৮২), Ars Memoriae (The Art of Memory, ১৫৮২) ও Cantus Circaeus (Circe’s Song, ১৫৮২). এছাড়া তিনি তৎকালীন কিছু প্রচলিত দার্শনিক ধারণাকে হাস্য-রসাত্বকভাবে তুলে ধরেন তাঁর লেখা বই Il Candelaio (The Torchbearer, ১৫৮২)তে। ১৫৮৩ সালে ব্রুনো ইংল্যান্ডে গমন করেন। সেখানে তিনি কবি ফিলিপ সিডনির সাথে পরিচিত হন। ব্রুনো পরবর্তীতে তাঁর লেখা দুটি বই ফিলিপকে উৎসর্গ করেছিলেন। ব্রুনো অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে বক্তব্য দেন। কিন্তু ধীরে ধীরে অনেকের সাথে তাঁর মতের অমিল হতে শুরু করে। বিশেষ করে লিংকন কলেজের রেক্টর জন আন্ডারহিল ও অক্সফোর্ডের বিশপ (পরবর্তীতে আর্চ বিশপ অব ক্যান্টারব্যারি) জর্জ এবটের সাথে ব্রুনোর দ্বন্দ্ব চরমে ওঠে। এবট প্রায়ই ব্রুনোকে খোঁচা মারতেন কারণ ব্রুনো বিশ্বাস করতেন পৃথিবী ‘গোল’। সেযুগে মানুষের ধারণা ছিল পৃথিবী ‘সমতল’। এছাড়া তিনি এই অভিযোগ আনেন যে, ব্রুনোর লেখাগুলো আরেক ইতালীয় জ্যোতির্বিদ মারশিলো ফিচিনোর কাছ থেকে চুরি করে লেখা। যাই হোক, এর মাঝেও ব্রুনো তাঁর লেখালেখি চালিয়ে যান। একে একে প্রকাশিত হয় মহাশূন্য নিয়ে তাঁর লেখা La Cena de le Ceneri (The Ash Wednesday Supper, ১৫৮৪), De la Causa, Principio et Uno (On Cause, Principle and Unity, ১৫৮৪), De l’Infinito Universo et Mondi (On the Infinite Universe and Worlds, ১৫৮৪) as well as Lo Spaccio de la Bestia Trionfante (The Expulsion of the Triumphant Beast, ১৫৮৪) and De gl’ Heroici Furori (On Heroic Frenzies, ১৫৮৫)। এর মাঝে প্রথম লেখাটি নিয়ে বিতর্ক ছড়িয়ে পড়ে। নিজের যুগের চেয়ে এগিয়ে থাকা বৈপ্লবিক ধ্যান-ধারণার কারণে ব্রুনো ধীরে ধীরে তাঁর বন্ধু ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের হারাতে শুরু করেন। ১৫৮৫ সালে তিনি আবার ফ্রান্সে ফিরে যান। এবার পরিস্থিতি তাঁর অনুকূলে ছিল না। তাঁর লেখা বইগুলো নিয়ে আগে থেকেই বিতর্ক ছড়িয়ে পড়েছিল। ফ্রান্সে এসে তিনি গণিতবিদ ফিব্রিজো মরদেন্তের সাথে ভয়াবহ বাকবিতণ্ডাতে জড়িয়ে পড়েন। বিষয় ছিল ফিব্রিজোর উদ্ভাবিত ‘ডিফ্রেন্সিয়াল কম্পাস’। ব্রুনো ফ্রান্স থেকে চলে গেলেন জার্মানী। তিনি মারবার্গ থেকে যান উইটেনবার্গ। সেখানে মহান দার্শনিক এরিস্টটলের উপর বক্তব্য দেন। এরিস্টটলের অনেক তত্ত্বের সাথে তিনি একমত ছিলেন না। যে কারণে তাঁকে সেখানে কেউ পছন্দ করে নি। জার্মানীতে থাকাকালীন ১৫৮৯ থেকে ৯০ সাল নাগাদ ল্যাটিন ভাষায় তাঁর লেখাগুলো প্রকাশিত হয় যার মাঝে ছিল De Magia (On Magic), Theses De Magia (Theses On Magic) and De Vinculis In Genere (A General Account of Bonding). All these were apparently transcribed or recorded by Besler (or Bisler) . এছাড়া প্রকাশিত হয় De Imaginum, Signorum, Et Idearum Compositione (On The Composition of Images, Signs and Ideas, ১৫৯১). ১৫৯১ সালে তিনি ইতালি ফিরে আসেন। আসার কিছুদিন পরই জিওভাননি মচেনিগো নামে এক ব্যক্তি তাঁর বিরুদ্ধে ধর্ম ও ঈশ্বরে বিরোধীতার অভিযোগ আনেন। ১৫৯২ সালের ২২ মে ব্রুনোকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁকে ভেনিশিয়ান ইনকুইজিশনের মুখোমুখি করা হয়। ইনকুইজিশন হলো রোমান ক্যাথলিক গির্জার একটি বিচার ব্যবস্থা, যেখানে ধর্ম অবমাননাকারীদের বিচার করা হতো। ব্রুনো খুব দক্ষতার সাথে তাঁর বক্তব্য আদালতে উপস্থাপন করেন ও তাঁর বিরোধীতাকারীদের যুক্তি খণ্ডন করেন। বেশ কয়েক মাস ধরে জেরা চলার পর ১৫৯৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে তাঁকে রোমে পাঠানো হয়। সাত বছর ধরে রোমে ব্রুনোর বিচারকাজ চলতে থাকে। এসময়ে তাঁকে নোনা টাওয়ারে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। সেই মহা ঐতিহাসিক বিচারকাজের গুরত্বপূর্ণ কিছু নথি হারিয়ে গিয়েছে। বেশিরভাগই সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছিল এবং ১৯৪০ সালে বিচারকাজের সেসময়ের একটি সার-সংক্ষেপ পাওয়া যায়। এতে তাঁর বিরুদ্ধে আনীত প্রধান অভিযোগগুলো ছিল- (১) ক্যাথোলিক ধর্ম মত ও ধর্মীয় গুরুদের মতের বিরুদ্ধে মতপ্রকাশ (২) খ্রিস্টীয় ধর্মমত অনুসারে স্রষ্টার ত্রি-তত্ত্ববাদ, যীশুর মৃত্যু ও পরে আবার শিষ্যদের কাছে দেখা দেয়ার বিষয়গুলো বিশ্বাস না করা (৩) যীশু ও তাঁর মা মেরিকে যথাযথ সম্মান না করা (৪) এই মহাবিশ্বের মতো আরো মহাবিশ্ব আছে, পৃথিবী গোল, সূর্য এই মহাবিশ্বের কেন্দ্র নয় এবং এটি একটি নক্ষত্র ছাড়া আর কিছু নয়- এই ধারণা পোষণ করা রোমান ইনকুইজিশনের ইনকুইজিটর কার্ডিনাল বেলারমাইন ব্রুনোকে তাঁর ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চাইতে বলেন। কিন্তু ব্রুনো তা করতে অস্বীকৃতি জানান। ১৬০০ সালের ২০ জানুয়ারি পোপ ৮ম ক্লেমেন্ট ব্রুনোকে একজন ধর্মদ্রোহী বলে রায় দেন ও তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেন। রায় শুনে ব্রুনো বিচারকদের শাসিয়ে দিয়ে বলেন, “ আপনারা হয়তো আমার সাথে হেরে যাবার ভয়ে আমার বিরুদ্ধে এই রায় দিয়েছেন। আমি এটি গ্রহণ করলাম।‘ ১৭ ফেব্রুয়ারি তাঁকে রোমের কেন্দ্রীয় বাজার Campo de’ Fioriএ নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁকে সবার সামনে খুঁটির সাথে বেঁধে পুড়িয়ে মারা হয়। তাঁর দেহভস্ম এরপর ছড়িয়ে দেয়া হয় টিবের নদীতে। ব্রুনো তাঁর মৃত্যুর পর প্রভূত সম্মান লাভ করেন। মহাশূন্য নিয়ে তাঁর মতবাদই ধীরে ধীরে সবার কাছে সঠিক বলে পরিগণিত হয়। তাঁকে ‘বিজ্ঞানের জন্য শহীদ’ বলে সম্মান জানানো হয়। তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ How 'Cosmos' Bungles the History of Religion and Science Bruno's works: text, concordances and frequency list Writings of Giordano Bruno Giordano Bruno Library of the World's Best Literature Ancient and Modern Charles Dudley Warner Editor Bruno's Latin and Italian works online: Biblioteca Ideale di Giordano Bruno Complete works of Bruno as well as main biographies and studies available for free download in PDF format from the Warburg Institute and the Centro Internazionale di Studi Bruniani Giovanni Aquilecchia Online Galleries, History of Science Collections, University of Oklahoma Libraries High resolution images of works by and/or portraits of Giordano Bruno in .jpg and .tiff format. বিষয়শ্রেণী:১৫৪৮-এ জন্ম বিষয়শ্রেণী:১৬০০-এ মৃত্যু বিষয়শ্রেণী:ইতালীয় জ্যোতির্বিজ্ঞানী বিষয়শ্রেণী:ইতালীয় দার্শনিক
জর্দানো ব্রুনো
আরও দেখুন গাণিতিক চিহ্নের সারণি। গাণিতিক প্রতীক-চিহ্নাদি বা গাণিতিক নোটেশন (Mathematical notation) গণিত, ভৌত বিজ্ঞান, প্রকৌশল, এবং অর্থশাস্ত্রে ব্যবহার করা হয়। এই প্রতীক-চিহ্নগুলো সরল প্রতীকধর্মী হতে পারে, যেমন - ১, ২, ইত্যাদি। এরা জটিল হতে পারে, যেমন - , +, ইত্যাদি ফাংশন-ভিত্তিক প্রতীকসমূহ থেকে শুরু করে lim, dy/dx, সমীকরণ, চলক, ইত্যাদি। বিষয়শ্রেণী:গাণিতিক অঙ্কপাতন he:סימון מתמטי
গাণিতিক প্রতীক-চিহ্নাদি
উমর ইবনে আবদুল আজিজ ( জন্ম : ২ নভেম্বর ৬৮২, ২৬ সফর ৬৩ হিজরি; মৃত্যু : ৩১ জানুয়ারি ৭২০, ১৬ রজব ১০১ হিজরি) () উমাইয়া বংশীয় একজন শাসক। উমাইয়া বংশীয় অন্যান্য শাসকদের মতো তাকেও মুসলিম জাহানের খলিফা হিসেবে গণ্য করা হয়। খুলাফায়ে রাশেদিন এর চার খলিফার সাথে তুলনা করতে গিয়ে অনেকে তাকে ইসলামের পঞ্চম খলিফা বলে থাকেন। তিনি ইসলামের ইতিহাসে দ্বিতীয় উমর নামে পরিচিত ছিলেন। তাকে ইসলামের প্রথম মুজাদ্দিদ বলে গণ্য করা হয়। প্রারম্ভিক জীবন উমর সম্ভবত ৬৮০ নাগাদ মদীনায় জন্মগ্রহণ করেন। তথ্যসূত্র উৎস বিষয়শ্রেণী:ইসলামের খলিফা বিষয়শ্রেণী:৮ম শতাব্দীর খলিফা বিষয়শ্রেণী:উমাইয়া খলিফা
উমর ইবনে আবদুল আজিজ
পুনর্নির্দেশ ধ্রুবমাতা (তারামণ্ডল)
Andromeda (constellation)
পুনর্নির্দেশ মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী
Mahatma Gandhi
সাই আপসাইলন (ΨΥ, Psi U) ১৮৩৩ সালে ইউনিয়ন কলেজে প্রতিষ্ঠিত একটি ভ্রাতৃসংঘ। প্রাচীনত্বের দিক দিয়ে এটি পঞ্চম। উত্তর অ্যামেরিকার কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এর শাখা রয়েছে। বহিঃসংযোগ সাই আপসাইলন অনলাইন বিষয়শ্রেণী:১৮৩৩-এ প্রতিষ্ঠিত বিষয়শ্রেণী:আন্তর্জাতিক ছাত্র সমাজসমূহ বিষয়শ্রেণী:উত্তর আমেরিকার আন্তঃভ্রাতৃসংঘীয় সম্মেলন
সাই আপসাইলন
কঠিন অবস্থা পদার্থবিজ্ঞান (Solid-state physics) নামক ঘনীভূত পদার্থের পদার্থবিজ্ঞান-এর বৃহত্তম শাখায় কঠিন পদার্থ নিয়ে আলোচনা করা হয়। সাধারণত এ গবেষণার মূল বিষয় বিভিন্ন কেলাসিত পদার্থ, কেননা কেলাসিত পদার্থে পরমাণুসমূহ নিয়মিত পর্যাবৃত্ত আকারে সাজানো থাকে এবং এর ফলে এদের গাণিতিক মডেল তৈরি করা সহজ হয়। তাছাড়া কেলাসিত পদার্থসমূহের বৈদ্যুতিক, চৌম্বক, আলোকীয় ও যান্ত্রিক ধর্মাবলি প্রকৌশলের নানা উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা যায়। ট্রানজিস্টর এবং অর্ধপরিবাহীর মতো প্রযুক্তিতে রয়েছে এর প্রত্যক্ষ প্রয়োগ। পটভূমি ইতিহাস স্ফটিক কাঠামো এবং বৈশিষ্ট্যাবলী ইলেকট্রনিক বৈশিষ্ট্যাবলী সাম্প্রতিক গবেষণা বিষয়শ্রেণী:ঘনীভূত পদার্থের পদার্থবিজ্ঞান de:Kondensierte Materie#Festkörperphysik
কঠিন অবস্থা পদার্থবিজ্ঞান
thumb|কাল রেখাটির দ্বারা একটি ফাংশন এবং লাল রেখাটির দ্বারা ফাংশনটির স্পর্শক নির্দেশ করা হয়েছে। স্পর্শকটির ঢাল চিত্রে দেখানো বিন্দুটিতে ফাংশনটির অন্তরক সহগের সমান হবে। অন্তরকলন বা অবকলন বা ব্যবকলন বা অন্তরীকরন গণিতশাস্ত্রের এমন একটি শাখা যাতে কোনো রাশির অন্য কোনো রাশির সাপেক্ষে পরিবর্তনের হার নিয়ে আলোচনা করা হয়। অর্থাৎ ক্রমবর্ধমান বা ক্রমহ্রাসমান দুটি রাশি, যাদের মধ্যে ফাংশনাল সম্পর্ক রয়েছে, তাদের একের সাপেক্ষে অপরের পরিবর্তনের হার নিরূপণ এবং এর তাৎপর্য নির্ণয় অন্তরকলনের মূল উদ্দেশ্য। আবিষ্কার অনেক আগে থেকেই অন্তরকলনের কিছু বিষয় সম্পর্কে ভারতীয় গণিতবিদদের ধারণা ছিল। ভাস্করাচার্য, কেরলের মাধবাচার্য প্রমুখ রোলির উপপাদ্য,পাই এর মান, সাইনের অসীম শ্রেণি প্রভৃতি আবিষ্কার করেন। তবে তাঁরা কখনও একে পরিমাপের একটি স্বতন্ত্র পদ্ধতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারেননি। কারণ তাঁরা অভ্যাসবশতই কিছু পদ্ধতি প্রয়োগ করতেন যেগুলো ছিল গণিতের সাধারণ পদ্ধতির বিশেষ প্রয়োগ। পরবর্তীকালে দুইটি রাশির একটির সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম পরিবর্তনের জন্য অন্যটির পরিবর্তন অর্থাৎ একটির সাপেক্ষে অন্যটির পরিবর্তনের হার নিয়ে অনেকেই বিশদ চিন্তাভাবনা করেন। এভাবেই একসময় বক্ররেখা বেষ্টিত কোনো ক্ষেত্রের ক্ষেত্রফল, ঘনবস্তুর আয়তন প্রভৃতি নির্ণয়ের জন্য সমাকলন পদ্ধতির প্রয়োগ শুরু হয়। আর এই প্রায়োগিক আবিষ্কারের অংশীদার যৌথভাবে ইংরেজ বিজ্ঞানী স্যার আইজাক নিউটন এবং জার্মান বিজ্ঞানী গট‌ফ্রিড লাইব‌নিৎস। সপ্তদশ শতাব্দীর শেষ ভাগে এই আবিষ্কারের ঘটনা ঘটে এবং নিউটন এবং লাইব‌নিৎস পরস্পর স্বাধীনভাবে এটি আবিষ্কার করেন। এজন্য দীর্ঘদিন পর্যন্ত নিউটন ও লাইব‌নিৎস সমর্থকদের মধ্যে এ আবিষ্কার নিয়ে দ্বন্দ্ব ছিল। অন্তরীকরণ ও অন্তরজ ফাংশনের স্বাধীন চলরাশি এর মান ক্ষুদ্র পরিমাণে বৃদ্ধির সাপেক্ষে অধীন চলরাশি এর মানে বৃদ্ধি ঘটলে, এদের অনুপাতের সীমাস্থ মানই হবে এর সাপেক্ষে এর অন্তরক সহগ বা অন্তরজ। অন্তরীকরণ হল অন্তরজ নির্ণয়ের একটি প্রক্রিয়া। কোনো ফাংশন f(x) এর চলক x এর জন্য এর অন্তরজ ঐ চলকের পরিবর্তনের সাপেক্ষে ফাংশনের পরিবর্তনের হার পরিমাপ করে। এটাকে বলে x এর সাপেক্ষে f এর অন্তরজ। যদি x ও y বাস্তব সংখ্যা হয়, তবে f বনাম x এর লেখচিত্র আঁকলে এর প্রতিটি বিন্দুতে অন্তরজের মান এর ঐ বিন্দুতে স্পর্শকের ঢালের মানের সমান। ধ্রুব ফাংশন বাদ দিয়ে সবচেয়ে সহজ ক্ষেত্র হয় তখন, যখন y, x এর একটি রৈখিক ফাংশন হয়। এটার মানে হলো y বনাম x এর লেখচিত্র একটি সরলরেখা। এই শর্তে, y = f(x) = m x + b, m ও b বাস্তব সংখ্যা এবং ঢাল m হয় যেখানে Δ (ডেল্টা) প্রতীকটি "পরিবর্তন" প্রকাশ করে। এই সূত্রটি সত্য কারণ সুতরাং, এভাবে, এটি সরলরেখাটির একদম সঠিক ঢাল বের করে দেয়। যদি f ফাংশনটি সরলরৈখিক না হয় (উদাহরণটির লেখচিত্র সরলরেখা নয়) বা যাই হোক না কেন সেক্ষেত্রে y এর পরিবর্তন ও x এর পরিবর্তন এর অনুপাত পরিবর্তনশীল হবে। অন্তরীকরণ হল এমন প্রক্রিয়া যা দিয়ে x এর দেওয়া যেকোনো মানের জন্য পরিবর্তনের হারের একদম সঠিক মান পাওয়া যায়। ১ থেকে ৩ নং চিত্রের ধারণাটি Δx এর অতিক্ষুদ্র মানের জন্য পরিবর্তনদ্বয়ের অনুপাতের সীমান্ত মান, বা পরিবর্তনের হার হিসাব করার জন্য ব্যবহৃত হয়। অবিচ্ছিন্নতা ও অন্তরীকরণযোগ্যতা right|thumb|চিহ্নিত বিন্দুতে ফাংশনটির কোনো অন্তরজ নেই, যেহেতু সেখনে তা অবিচ্ছিন্ন নয় (প্রকৃতপক্ষে, এটি বিচ্ছিন্নভাবে শুরু হয়েছে) যদি, , a বিন্দুতে অন্তরীকরণযোগ্য হয়, তবে f কে অবশ্যই a বিন্দুতে অবিচ্ছিন্ন হতে হবে। উদাহরণস্বরূপ, a একটি বিন্দু নিই এবং ধরি f  হল একটি ধাপে বিচ্ছিন্ন ফাংশন যা একটি মান প্রদান করবে। x এর মান a এর চেয়ে ছোট হলে ১ প্রদান করে এবং x এর মান a এর চেয়ে বড় বা সমান হলে একটি ভিন্ন মান ১০ প্রদান করে। তাই, a তে f  এর কোনো অন্তরজ থাকতে পারে না। যদি h ঋনাত্মক হয় তবে a+h হয় ধাপের নিম্ন অংশ তাই a থেকে a+h বিন্দুগামী ছেদক রেখা খুব খাড়া হবে অর্থাৎ, h শূন্যের কাছে পৌঁছালে ঢাল অসীমের কাছে পৌঁছায়। আবার যদি, h ধনাত্মক হয় তবে a+h হবে ধাপের উঁচু অংশ। তাই a ও a+h এর ছেদবিন্দুগামী রেখার ঢাল শূন্য। ফলে, ছেদক রেখার ঢাল কোনো একক ঢালের নিকটবর্তী হয় না। তাই পার্থক্য ভাগফলের সীমার কোন অস্তিত্ব নেই। right|thumb|পরমমান ফাংশনটি অবিচ্ছিন্ন কিন্তু x=0 বিন্দুতে অন্তরীকরণযোগ্য নয়—কেননা বামদিক ও ডানদিক থেকে স্পর্শকের ঢাল একই মানে পৌঁছায় না। এমনকী কোনো ফাংশন একটি বিন্দুতে অবিচ্ছিন্ন হওয়া সত্ত্বেও সেখানে অন্তরীকরণযোগ্য নাও হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, পরম মান ফাংশন y = | x |, x = 0, বিন্দুতে অবিচ্ছিন্ন কিন্তু অন্তরীকরণযোগ্য নয়। যদি h ধনাত্মক হয় তবে 0 থেকে h এ ছেদকারী রেখার ঢাল হবে ১ কিন্তু যদি h ঋনাত্মক হয়, তবে 0 থেকে h এ ছেদকারী রেখার ঢাল হবে ঋনাত্মক ১। এটা লেখচিত্রে x = 0 তে "শিখর" মনে হবে। এমনকী একটি ফাংশনের লেখচিত্র সুষম হলেও যেখানে এর স্পর্শক উলম্ব সেখানে তা অন্তরীকরণযোগ্য নয়। উদাহরণস্বরূপ, y = x1/3 ফাংশন x = 0 তে অন্তরীকরণযোগ্য নয়। সংক্ষেপে বলা যায়: একটি ফাংশন f এর অন্তরজ থাকার জন্য ফাংশন f কে অবিচ্ছিন্ন হতে হবে, কিন্তু কেবল একা অবিচ্ছিন্নতা ধরে রাখা যথেষ্ট নয়। বাস্তবে সর্বাধিক ফাংশনের সব বিন্দুতেই বা প্রায় প্রতিটি বিন্দুতেই অন্তরজ আছে। প্রারম্ভিক ক্যালকুলাসের ইতিহাসে, অনেক গণিতবিদ ধারণা করেন যে একটি অবিচ্ছিন্ন ফাংশন প্রায় সব বিন্দুতেই অন্তরীকরণযোগ্য। মধ্য সময়ের দিকে, উদাহরণস্বরূপ, একটি ফাংশন একটি মনোটোনি ফাংশন বা লিপসিজ ফাংশন হলে তা সত্য হয়।  যাইহোক, ১৯৭২ সালে, হুইসট্রাস এমন একটি ফাংশন খুঁজে পান যা অবিচ্ছিন্ন কিন্তু অন্তরীকরণযোগ্য নয়। এটি হুইসট্রাস ফাংশন হিসাবে পরিচিত। ১৯৩১ সালে, স্টিফান ব্যানাচ প্রমাণ করেণ যে অবিচ্ছিন্ন ফাংশনের সেটের জগতে একটি ক্ষুদ্র সেট যার কিছু বিন্দুতে এর একটি অন্তরজ আছে।. অনানুষ্ঠানিকভাবে, এটা বোঝায় যে খুব কম অবিচ্ছিন্ন ফাংশেনেরই অন্তত একটি বিন্দুতে অন্তরজ আছে। অন্তরীকরণের জন্য প্রয়োজনীয় সূত্র মৌলিক ফাংশনের জন্য নিয়ম বেশিরভাগ ফাংশনের অন্তরজ নির্ণেয়ের জন্য কিছু সাধারণ ফাংশনের অন্তরজ দরকার পরে। এই অসম্পূর্ণ তালিকায় এক চলকের সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত কিছু ফাংশনের অন্তরজ দেওয়া হলো। ঘাতের অন্তরজ: যদি যেখানে r যেকোনো বাস্তব সংখ্যা, তাহলে যেখানে এই ফাংশনটি সংজ্ঞায়িত। উদাহরণস্বরূপ, যদি  হয় তাহলে, এবং অন্তরজ ফাংশন কেবলমাত্র x এর ধনাত্মক মানের জন্য সংজ্ঞায়িত। x=0 এর জন্য নয় যখন r=0. এই নিয়ম এটাই বোঝায় যে x ≠ 0 এর জন্য f′(x) এর মান 0, যা সবসময় ধ্রুব নিয়ম (নিচে বিবৃত) সূচকীয় ও লগারিদমিক ফাংশন: ত্রিকোণমিতিক ফাংশন: বিপরীত ত্রিকোণমিতিক ফাংশন বা বিপরীত বৃত্তীয় ফাংশন সংযুক্ত ফাংশনের নিয়ম অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, অন্তরজ নির্ণয়ের সময় নিউটনের পার্থক্য ভাগফলের সরাসরি ব্যবহার জটিল সীমার জন্য এড়ানো হয়। সবচেয়ে সাধারণ নিয়ম কিছু হলো ধ্রুবকের সূত্র: যদি f(x) ধ্রুবক হয়, তবে যোগের সূত্র: যেকোনো ফাংশন f ও g এবং \alpha and \beta কোনো বাস্তব সংখ্যা হলে,  গুণের সূত্র; যেকোনো ফাংশন f ও g এর জন্য . বিশেষ ক্ষেত্রে এই সূত্র  আসলে অন্তর্ভুক্ত করে যখন  একটি ধ্রুবক, কেননা ধ্রুবক সূত্র অনুসারে . ভাগের সূত্র:   f ও g যেখানে যেকোনো ফাংশন এবং যেকোনো মানের জন্য g ≠ 0. চেইন রুল: যদি, , তাহলে ব্যবহার যদি রাশি রাশি x এর একটি অপেক্ষক হয়, তাহলে অন্তরকলনের সাহায্যে x এর কোন মানের জন্যে y এর মান সর্বাধিক বা সর্বনিম্ন, তা নির্ণয় করা যায়। পদার্থ-বিজ্ঞানে বহু ক্রিয়া সময়ের উপর নির্ভরশীল। এগুলির জন্য যে সমীকরণ, সেগুলি সমধান করতে অন্তরকলনের প্রয়োজন। সহজ একটি ক্ষেত্রে, y=f(x)=mx+b,বাস্তব সংখ্যার m ও b, এবং নতি হবে m=Δy/Δx যেখানে চিহ্ন Δ হল (গ্রিক বর্ণ Delta এর বড়হাতের অক্ষর) জন্য "ঐ ভেরিয়েবলের পরিবর্তনের" একটি সংক্ষেপ।যখন Δx ০ এর দিকে যায় তখন একে dy/dx আকারে প্রকাশ করা হয়। একটি বিন্দু a তে একটি ফাংশন f এর অন্তরকলজ হবে- উদাহরণ ফাংশন f(x)=x² এর x= 3 এ ,অন্তরকলনযোগ্য এবং তার অন্তরকলজ হয় 6. সন্ততা এবং অন্তরকলন একটি ফাংশনের অন্তরকলজ থাকার জন্য প্রয়োজনীয় শর্ত হল ফাংশনটি সন্তত হবে কিন্তু এই শর্ত পর্যাপ্ত নয়। উচ্চতর অন্তরকলজ একটি ফাংশনের অন্তরকলজকে পুনরায় অন্তরকলন করলে দ্বিতীয় ক্রমের অন্তরকলজ পাওয়া যায়; তাকে রূপে প্রকাশ করা হয়। অনুরূপে উচ্চতর অন্তরকলজগুলি পাওয়া যায়। অন্তরকলজ বের করার নিয়ম যদি f(x) একটি ধ্রুবক হয় , তাহলে যোগের নিয়ম α ও β বাস্তব সংখ্যা গুণের নিয়ম ভাগের নিয়ম ;g ≠ 0 চেইন নিয়ম যদি হয় তবে কয়েকটি সূত্র দেখুন অন্তরকলন সূচী আরও দেখুন সমাকলন অন্তরকলন সূচী বিষয়শ্রেণী:গাণিতিক বিশ্লেষণ বিষয়শ্রেণী:অন্তরকলন
অন্তরকলন
right|300px|thumb|বড় ম্যাজেলানিয় মেঘপুঞ্জ অঞ্চলে একটি তারকা গঠিত হচ্ছে। নাসা/ইএসএ চিত্র। তারা, তারকা বা নক্ষত্র বলতে মহাশূন্যে প্লাজমা দশায় অবস্থিত অতি উজ্জ্বল এবং সুবৃহৎ গোলাকার বস্তুপিণ্ডকে বোঝায়। উচ্চ তাপে তারা নিউক্লীয় সংযোজন বিক্রিয়ার মাধ্যমে ক্রমাগত নিজের জ্বালানি উৎপন্ন করে। নিউক্লীয় সংযোজন থেকে উদ্ভূত তাপ ও চাপ মহাকর্ষীয় সঙ্কোচনকে ঠেকিয়ে রাখে। জ্বালানি শেষ হয়ে গেলে একটি তারার মৃত্যু হয়ে শ্বেত বামন অথবা নিউট্রন তারা আবার কখনো কৃষ্ণ বিবরের সৃষ্টি হয়। পৃথিবী হতে সবচেয়ে কাছের তারা হচ্ছে সূর্য। তারা জ্বলজ্বল করার কারণ হচ্ছে, এর কেন্দ্রে নিউক্লীয় সংযোজন বিক্রিয়ার মাধ্যমে যে শক্তি উৎপন্ন হয় তা তারার পুরো অভ্যন্তরভাগ পার হয়ে বহিঃপৃষ্ঠ থেকে বিকিরিত হয়। হাইড্রোজেন এবং হিলিয়াম অপেক্ষা ভারী প্রায় সকল মৌলই তারার কেন্দ্রে প্রথমবারের মত উৎপন্ন হয়েছিল। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা তারার বর্ণালি, দীপন ক্ষমতা বা গতি পর্যবেক্ষণ করে এর ভর, বয়স, রাসায়নিক গঠন এবং অন্যান্য অনেক ধর্মই বলে দিতে পারেন। তারাটির সর্বমোট ভরই মূলত তার বিবর্তন এবং চূড়ান্ত পরিণতি নির্ধারণ করে দেয়। অন্যান্য ধর্মগুলো নির্ণয় করা হয় বিবর্তনমূলক ইতিহাসের মাধ্যমে যার মধ্যে রয়েছে ব্যাস, ঘূর্ণন, চাপ এবং তাপমাত্রা। অনেকগুলো তারার তাপমাত্রাকে তাদের দীপন ক্ষমতার বিপরীতে একটি লেখচিত্রে স্থাপন করলে যে চিত্র পাওয়া যায় তাকে হের্টস্‌স্প্রুং-রাসেল চিত্র বলা হয়। এই চিত্রের মাধ্যমেই তারার বিবর্তনের বর্তমান দশা এবং এর বয়স নির্ণয় করা যায়। ধ্বসে পড়ছে এমন একটি মেঘের মাধ্যমে তারার জীবনচক্র শুরু হয়। এই মেঘের মধ্যে থাকে মূলত হাইড্রোজেন, অবশ্য হিলিয়াম সহ অতি সামান্য বিরল ভারী মৌল থাকতে পারে। তারার কেন্দ্রটি যখন যথেষ্ট ঘন হয় তখন সেই কেন্দ্রের হাইড্রোজেন নিউক্লীয় সংযোজন বিক্রিয়ার মাধ্যমে হিলিয়ামে পরিণত হতে থাকে। তারার অভ্যন্তরভাগের অবশেষ থেকে শক্তি বিকিরণ এবং পরিচলনের এক মিশ্র প্রকিয়ায় বহির্ভাগে নীত হয়। এই প্রক্রিয়াগুলো তারাকে ধ্বসে পড়তে দেয় না এবং উৎপন্ন শক্তি একটি নাক্ষত্রিক বায়ু তৈরি করে যা বিকিরণকে মহাবিশ্বে ছড়িয়ে দেয়। তারার মধ্যকার হাইড্রোজেন জ্বালানি ফুরিয়ে গেলে তার মৃত্যু ঘটে। মৃত্যু ভরের উপর নির্ভর করে বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে হয়ে থাকে। অবশ্য মৃত্যু ঘটার আগে তারাটি আরও কয়েক প্রজন্ম পার করে যার মধ্যে রয়েছে অপজাত অবস্থা। প্রতি প্রজন্মে তার পূর্বের প্রজন্মের তুলনায় ভারী মৌলের পরিমাণ বেশি থাকে। তারা নিঃসঙ্গ থাকতে পারে, আবার দুই বা ততোধিক তারা একসাথে একটি তন্ত্র গড়ে তুলতে পারে। দুটি হলে সাধারণত একে অন্যকে কেন্দ্র করে ঘুরতে থাকে এবং বেশি কাছাকাছি এসে গেল একে অন্যের বিবর্তনকেও প্রভাবিত করে। ব্যুৎপত্তি তারা শব্দের ইংরেজি প্রতিশব্দ "স্টার"। স্টার শব্দটি গ্রিক অ্যাস্টার থেকে এসেছে যা আবার হিত্তীয় ভাষার শব্দ শিত্তার থেকে এসেছে। শিত্তার শব্দটির বুৎপত্তি আবার সংস্কৃত শব্দ সিতারা (सितारा)। পর্যবেক্ষণের ইতিহাস thumb|220px|right|প্রাচীনকাল থেকে মানুষেরা তারকাতে নকশা দেখেছে। এটি ১৬৯০ সালে জোহানেস হেভেলিউস লেও তারামণ্ডলীর চিত্রাঙ্কন করেন। প্রতিটি সংস্কৃতিতেই তারা বিশেষ গুরুত্ব বহন করতো। ধর্ম চর্চায় এর ব্যবহার ছিল সবচেয়ে বেশি। এছাড়া তারার মাধ্যমে নাবিকরা দিক নির্ণয় করতো এবং ঋতুর সাথে এর সম্পর্কটিও মানুষ অনেক আগে বুঝতে পেরেছিল। প্রাচীন জ্যোতির্বিদরা অনেকেই বিশ্বাস করতেন, তারা স্বর্গীয় গোলকে নির্দিষ্ট স্থানে আবদ্ধ আছে এবং এরা অপরিবর্তনীয়। চলতি প্রথা অনুযায়ী তারা তারাগুলোকে কিছু তারামণ্ডলে ভাগ করেছিলেন এবং এই মণ্ডলগুলোর মাধ্যমে সূর্যের অনুমিত অবস্থান ও গ্রহের গতি সম্বন্ধে ধারণা লাভ করতেন। তারার পটভূমিতে তথা দিগন্তে সূর্যের গতিকে ব্যবহার করে পঞ্জিকা তৈরি করা হতো যা কৃষিকাজে বিশেষ কাজে আসতো। বর্তমানে পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত পঞ্জিকা হচ্ছে জর্জীয় পঞ্জিকা। এই পঞ্জিকাটিও সৌরকেন্দ্রিক। সূর্যের সাপেক্ষে পৃথিবীর ঘূর্ণন অক্ষের কোণগুলোর মাধ্যমে এই পঞ্জিকা নির্মিত হয়। জানা মতে সঠিকভাবে প্রস্তুতকৃত প্রাচীনতম পঞ্জিকা নির্মাণ করেছিল প্রাচীন মিশরীয়রা, ১,৫৩৪ খ্রিস্টপূর্বে। ইসলামী জ্যোতির্বজ্ঞানীরা অনেক তারার আরবি নাম দিয়েছিলেন যার অনেকগুলো এখনও ব্যবহৃত হয়। এছাড়া তারা তারার অবস্থান নির্ণয়ের জন্য প্রচুর জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক যন্ত্র নির্মাণ করেছিলেন। একাদশ শতাব্দীতে আবু রাইহান আল-বিরুনি আকাশগঙ্গা ছায়াপথ বিপুল সংখ্যক ভগ্নাংশের সমন্বয়ে গঠিত বলে ব্যাখ্যা করেন। এর ভগ্নাংশগুলোর নীহারিকময় তারার মত ধর্ম রয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। ১০১৯ সালের এক চন্দ্র গ্রহণের সময় তিনি বিভিন্ন তারার অক্ষাংশও নির্ণয় করেছিলেন। তারাকে স্বর্গীয় অপরিবর্তনীয় বস্তুরূপে কল্পনা করলেও চৈনিক জ্যোতির্বিদরা বুঝতে পেরেছিলেন, নতুন তারার উদ্ভব হতে পারে। টাইকো ব্রাহের মত আদি ইউরোপীয় জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা রাতের আকাশে নতুন তারার উদ্ভব দেখতে পান। এ থেকে তারা প্রস্তাব করেন, স্বর্গ অপরিবর্তনীয় নয়। ১৫৮৪ সালে জর্দানো ব্রুনো বলেন, তারাগুলো মূলত অন্যান্য সূর্য যাদের পৃথিবীর মত বা একটু অন্যরকম গ্রহও থাকতে পারে। গ্রহগুলো যার যার সূর্যকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়। এই ধারণাটি এর আগে গ্রিক বিজ্ঞানী দিমোক্রিতুস এবং এপিকিউরাস-ও ব্যক্ত করেছিলেন। এর পরের শতাব্দী জুড়ে তারাগুলোকে অনেক দূরের সূর্য হিসেবে কল্পনা করার বিষয়টি বিজ্ঞানীদের মধ্যে জনপ্রিয় হতে থাকে। তারাগুলো কেন সৌর জগৎকে মহাকর্ষীয় টানের মাধ্যমে প্রভাবিত করে না তা ব্যাখ্যা করার জন্য আইজাক নিউটন বলেন, তারা আসলে মহাবিশ্বে সমানভাবে বন্টিত। ধর্মতাত্ত্বিক রিচার্ড বেন্টলি সমরূপতার এই ধারণাটি প্রথম উল্লেখ করেছিলেন। ইতালীয় জ্যোতির্বিজ্ঞানী জেমিনিয়ানো মোন্তানারি ১৬৬৭ সালে আলগল নামক তারার জ্যোতির পরিবর্তন পর্যবেক্ষণ করেন। এডমন্ড হ্যালি সর্বপ্রথম আমাদের কাছাকাছি অবস্থিত এক জোড়া স্থির তারার সঠিক গতি পরিমাপ করে তা প্রকাশ করেছিলেন। এর মাধ্যমে তিনি দেখান প্রাচীন গ্রিক জ্যোতির্বিজ্ঞানী টলেমি এবং হিপ্পার্কুসের সময়ে এটি যে অবস্থানে ছিল, এখন সেখানে নেই। পৃথিবী থেকে একটি তারার দূরত্ব প্রথম সঠিকভাবে পরিমাপ করেন ফ্রিডরিক বেসেল, ১৮৩৮ সালে। লম্বন কৌশল ব্যবহার করে তিনি এই দূরত্ব পরিমাপ করেছিলেন। তিনি পৃথিবী থেকে ৬১ সিগনি নামক তারাটির দূরত্ব ১১.৪ আলোকবর্ষ নির্ণয় করেছিলেন। লম্বন পরিমাপের মাধ্যমেই বোঝা গিয়েছিল স্বর্গীয় স্থির তারাগুলো আসলে একে অপর থেকে কতো দূরে দূরে অবস্থান করছে। উইলিয়াম হার্শেল প্রথম জ্যোতির্বিজ্ঞানী যিনি আকাশে তারার বণ্টনের সঠিক তাৎপর্য উদ্ধারে ব্রতী হন। ১৭৮০'র দশকে তিনি ৬০০টি ভিন্ন ভিন্ন দিকে এক বিশেষ পরিমাপ সম্পন্ন করেন। প্রতিটি দৃষ্টিরেখায় অবস্থিত তারার সংখ্যা পরিমাপ করে ফলাফলগুলো একত্রিত করেন। এ থেকে তিনি বের করেন, আকাশের একটি বিশেষ দিকে তারার সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। আর এই দিকটি হলে আকাশগঙ্গার কেন্দ্রের দিক। তার আবিষ্কার থেকে তিনি এও মন্তব্য করেন যে, কিছু কিছু তারা যে কেবল এক দৃষ্টিরেখায় আছে তা-ই নয়, ভৌতভাবে একে অন্যের সাথে সম্পর্কিতও থাকতে পারে। এ কারণেই যুগল তারা ব্যবস্থার সৃষ্টি হয়। নাক্ষত্রিক বর্ণালিবিক্ষণ বিজ্ঞানের উন্নয়ন ঘটান Joseph von Fraunhofer এবং Angelo Secchi। তারাসমূহের বর্ণালীর তুলনা করে তারা তাদের শক্তি এবং তাদের বর্ণালীতে উপস্থিত বিশোষণ রেখার সংখ্যায় পার্থক্য দেখতে পান। বিশোষণ রেখা বলতে নাক্ষত্রিক বর্ণালিতে উপস্থিত এমন সব কালো রেখাকে বোঝায়, তারাটির পরিবেশে আলোর নির্দিষ্ট কিছু কম্পাঙ্কের শোষণের কারণে যার সৃষ্টি হয়। ১৮৬৫ সালে Secchi তারাগুলোকে বর্ণালী ধরনে বিভক্ত করা শুরু করেন। অবশ্য নাক্ষত্রিক শ্রেণীবিভাগের আধুনিক সংস্করণটির উন্নয়ন ঘটিয়েছিলেন অ্যানি জে ক্যানন, বিংশ শতাব্দীতে। ঊনবিংশ শতাব্দীতে যুগল তারা নিয়ে গবেষণার গুরুত্ব বৃদ্ধি পায়। ১৮৩৪ সালে ফ্রিডরিক বেসেল লুব্ধক তারার প্রকৃত গতিতে বিবর্তন লক্ষ করেন এবং এর একটি গুপ্ত সাথী রয়েছে বলে সিদ্ধান্তে আসেন। পরিমাপের একক আধিকাংশ নাক্ষরিক বৈশিষ্টসমূহ নিয়মানুসারে এসআই এককে প্রকাশ করা হয়।সি,জি,এস একক ও ব্যবহৃত হয় (যেমনঃ উজ্জ্বলতা একক আর্গ/সেকেন্ড)। ভর, উজ্জ্বলতা এবং ব্যাস সাধারণত সৌর এককে প্রকাশিত হয়।সূর্যের কিছু বৈশিষ্ট নিন্মে দেওয়া হলঃ {| | সৌর ভর: | কেজি |- | সৌর উজ্জ্বলতা: | ওয়াট |- | সৌর ব্যাসার্ধ: | মিটার |} বড় দৈঘ্যের (যেমনঃ দৈতকার তারার ব্যাসর্ধ বা দৈত নক্ষত্রব্যবস্থার অর্ধ-মুখ্য অক্ষ) পরিমাপে জ্যোতির্বিদ্যা-একক (AU) ব্যবহৃত হয় -যা প্রায় পৃথিবী ও সূর্যের মধ্যকার গড় দূরত্বের সমান (১৫ কোটি কিলোমিটার বা ৯.৩ কোটি মাইল)। বৈশিষ্টসমূহ তারার গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্টসমূহ যেমনঃ আকার, উজ্জ্বলতা‌, বিবর্তন, জীবনচক্র এবং সবশেষে তারার পরিনতি -এ সব কিছুই এর প্রাথমিক ভরের উপর নির্ভর করে। বৃহত্তম তারকা ইউ ওয়াই স্কিউটি (UY Scuti) মহাবিশ্বের বৃহত্তম তারকা। এটি আমাদের সূর্যের চেয়ে ১,০০০ গুণের চেয়েও বেশি প্রশস্ত। এটি একটি লাল মহাদানব (Red Supergiant)। বয়স অধিকাংশ তারার বয়স ১০০ কোটি থেকে ১০০০ কোটির মধ্যে। কিছু তারার বয়স ১৩,৭০ কোটির কাছাকাছি, যা আমাদের দৃশ্যমান মহাবিশ্বের বয়সের সমান।এখন পর্যন্ত আবিস্কৃত পুরাতন তারা HE1523-0901 এর গননাকৃত বয়স ১,৩২০ কোটি বছর। তারার আকার যত বড় হয় এর আয়ূকাল ততই কমে যায়। কেননা, বৃহদকার তারার কেন্দ্রের চাপ বেশি থাকে এবং এই চাপের সমতার জন্য এর হাইড্রোজেন দ্রুত পুড়ে নিঃশেষ হয়। আধিকাংশ বৃহদকার তারার আয়ূকাল গড়ে প্রায় ১০ লক্ষ বছর হয়। আপেক্ষাকৃত কম ভরের তারার (যেমন লাল বামন নক্ষত্র) জ্বালানি ধীরে ধীরে নিঃশেষ হয় এবং এদের আয়ূকাল ১,০০০ কোটি থেকে লক্ষ কোটি বছর হয়। তারকার প্রকারভেদ বিভিন্ন ধরনের তারকার মধ্যে সবচেয়ে বেশি চোখে পড়ে মেইন-সিকোয়েন্স তারকা। মহাবিশ্বে তারকাদের ৮০ ভাগই এই শ্রেণির। তারকাদের মধ্যে মূলত এরাই হাইড্রোজেন জ্বালিয়ে হিলিয়াম উৎপন্ন করে এবং একই সাথে তৈরি করে বিপুল পরিমাণ আলো ও তাপ। এই তারকাদের হাইড্রোজেন জ্বালানী ফুরিয়ে গেলে তখন এদের নাম হয় দানব নক্ষত্র। কারণ, তখন বিকিরণের চাপে এদের ব্যাসার্ধ বেড়ে যায়। আরো ৫ বিলিয়ন বছর পর আমাদের সূর্য এই দশায় পৌঁছবে। পরবর্তীতে ভরভেদে এরা নিউট্রন তারা, পালসার বা ব্ল্যাকহোলে পরিণত হতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে দুটি তারকা তাদের সাধারণ ভরকেন্দ্রকে প্রদক্ষিণ করে। এদেরকে বলা হয় বাইনারি তারকা। মহাবিশ্বে ৫০ ভাগ তারকাই এই শ্রেণির। আরও দেখুন তারা গুচ্ছ উজ্জ্বলতম তারাসমূহের তালিকা তারার বিবর্তন তারামণ্ডল তথ্যসূত্র আরও পড়ুন বহিঃসংযোগ Query star by identifier, coordinates or reference code. Centre de Données astronomiques de Strasbourg Star, World Book @ NASA Portraits of Stars and their Constellations. University of Illinois How To Decipher Classification Codes. Astronomical Society of South Australia View the stars above your location বিষয়শ্রেণী:জ্যোতির্বিজ্ঞান বিষয়শ্রেণী:মহাবিশ্ব বিষয়শ্রেণী:তারা
তারা
পুনর্নির্দেশ অলবার্সের হেঁয়ালি
অলবার্সের প্যারাডক্স
ইকবাল () একটি ফারসি শব্দ, যার অর্থ "ভাগ্য"। এটি মধ্যপ্রাচ্য, মধ্য এশিয়া, ও দক্ষিণ এশিয়ায় একটি প্রচলিত নাম। ইকবাল দ্বারা বোঝানো যেতে পারেঃ ইকবাল (সংবাদপত্র) ২০০৫ পর্যন্ত ইরান প্রকাশিত একটি ফার্সি সংস্কারবাদী সংবাদপত্র ইকবাল (চলচ্চিত্র), ২০০৫-এর ভারতীয় চলচ্চিত্র স্থান ইকবাল, ইরান, পশ্চিম আজারবাইজান প্রদেশের একটি গ্রাম ইকবালিয়ে, ইরানে গ্রামীণ জেলা ইকবাল মঞ্জিল, শিয়ালকোটের ঐতিহাসিক শহর- ডঃ মুহাম্মদ ইকবালের জন্মস্থান ইকবাল পার্ক, লাহোর, পাকিস্তানের পার্ক ইকবাল স্টেডিয়াম, ফয়সালাবাদ, পাকিস্তানে ক্রিকেটের মাঠ ইকবাল টাউন, লাহোর, দক্ষিণ-পশ্চিম লাহোরে বাণিজ্যিক ও আবাসিক এলাকা আল্লামা ইকবাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, লাহোর, পাকিস্তান প্রদত্ত নাম আল্লামা ইকবাল (১৮৭৭–১৯৩৮), কবি, দার্শনিক এবং বুদ্ধিজীবী ইকবাল মেহেদী (১৯৪৬–২০০৮), পাকিস্তানি চিত্রশিল্পী ইকবাল আবদুল্লা (জন্ম ১৯৮৯), ভারতীয় ক্রিকেটার ইকবাল আহমেদ (জন্ম ১৯৫৬), বাংলাদেশি উদ্যোক্তা ইকবাল জেড. আহমেদ (জন্ম ১৯৪৬), পাকিস্তানি ব্যবসায়ী মুহাম্মদ ইকবাল বাহু (১৯৪৪–২০১২), পাকিস্তানের সুফি গায়ক ইকবাল বানো (১৯৩৫–২০০৯), পাকিস্তানি গায়ক ইকবাল কাজমি, পাকিস্তানি মানবাধিকার কর্মী ইকবাল মাসিহ (১৯৮৩–১৯৯৫), পাকিস্তানি শিশু কর্মী ইকবাল মোহাম্মদ, ভারতীয় আলোকচিত্রী ইকবাল মাসুদ নাদভী, কানাডীয় ধর্মীয় বিদ্বান ইকবাল কাশিম (জন্ম ১৯৫৩), পাকিস্তানি ক্রিকেটার ইকবাল সিদ্দিকী (জন্ম ১৯৭৪), ভারতীয় ক্রিকেটার ইকবাল সিং, ভারতীয়-মার্কিন শিক্ষাবিদ ইকবাল সিং (রাজনীতিবিদ) (জন্ম ১৯৪৫), ভারতীয় রাজনীতিবিদ ইকবাল থেবা (জন্ম ১৯৬৩), পাকিস্তানি-মার্কিন টেলিভিশন অভিনেতা ইকবাল ওয়াহাব (জন্ম ১৯৬৩), বাংলাদেশি রেস্তোরাঁর মালিক ইকবাল আহমেদ (রাজনীতিবিদ), পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিধায়ক পারিবারিক নাম আফতাব ইকবাল, পাকিস্তানি সাংবাদিক আমের ইকবাল, পাকিস্তানি তাত্ত্বিক পদার্থবিদ আমজাদ ইকবাল (জন্ম ১৯৮৩), ইংরেজ ফুটবলার আহসান ইকবাল (জন্ম ১৯৫৮), পাকিস্তানি রাজনীতিবিদ দারিউশ ইকবালি, ইরানী গায়ক ফয়সাল ইকবাল, (জন্ম ১৯৮১), পাকিস্তানি ক্রিকেটার জাভেদ ইকবাল (দ্ব্যর্থতা নিরসন), একাধিক মানুষ ইমরাজ ইকবাল, ফিজির ব্যবসায়ী মহসিন ইকবাল (জন্ম ১৯৮৩), ভারতীয় ক্রিকেটার মনেব ইকবাল (জন্ম ১৯৮৬), স্কটিশ ক্রিকেটার মুহাম্মদ সাদ ইকবাল পাকিস্তানি সন্দেহভাজন সন্ত্রাসী মুহাম্মদ জাফর ইকবাল (জন্ম ১৯৫২), বাংলাদেশী লেখক মোজাফ্ফর ইকবাল (জন্ম ১৯৫৪), পাকিস্তানি-কানাডীয় রসায়নবিদ নাজিয়া ইকবাল, পুশতু গায়ক রাও সিকান্দার ইকবাল (১৯৪৩–২০১০), পাকিস্তানের সাবেক প্রতিরক্ষা মন্ত্রী শহীদ ইকবাল (জন্ম ১৯৫৩), পাকিস্তানি নৌবাহিনীর অ্যাডমিরাল তামিম ইকবাল (জন্ম ১৯৮৯), বাংলাদেশী ক্রিকেটার ওয়ালিদ ইকবাল, পাকিস্তানি আইনজীবী জাফর ইকবাল (দ্ব্যর্থতা নিরসন), একাধিক মানুষ
ইকবাল (দ্ব্যর্থতা নিরসন)
thumb|150px|বিশ্বকোষটির "দ্য আউল" সংস্করণ নুদিস্ক ফামিলেবুক (Nordisk familjebok) একটি সুয়েডীয় বিশ্বকোষ যা ১৮৭৬ থেকে ১৯৫৭ সালের মধ্যে প্রকাশিত হয়। এটি বর্তমানে লিঙ্কপিং বিশ্ববিদ্যালয়ের রিউনবার্গ প্রকল্পে ডিজিটার ফরম্যাটে পাওয়া যাচ্ছে। ইতিহাস নুদিস্ক ফামিলেবুকের প্রথম সংস্করণ ১৮৭৬ থেকে ১৮৯৯ সাল পর্যন্ত ২০ খণ্ডে প্রকাশিত হয়। এই সংস্করণে নর্স পুরাণের দেবী ইদুনের ছবি থাকায় এটি "ইদুন সংস্করণ" নামে পরিচিত ছিল। এটি ২৫ বছর নিয়মিত প্রকাশিত হয় এবং প্রথম ১০টি সংস্করণের বিষয়বস্তুসমূহ পরবর্তী সংস্করণগুলোতে পাওয়া যায়নি। পাদটীকা তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ নরডিস্ক ফ্যামিলজেকব – রিউনবার্গ প্রকল্পের মাধ্যমে ৪৫,০০০ পৃষ্ঠার দুইটি সংস্করণই অনলাইনে পাওয়া যায়। বিষয়শ্রেণী:বিশ্বকোষ
নুদিস্ক ফামিলেবুক
ম্যাসিডোনিয়ার তৃতীয় আলেকজান্ডার (২০ অথবা ২১ জুলাই ৩৫৬ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ – ১০ অথবা ১১ জুন ৩২৩ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ), যিনি মহান আলেকজান্ডার (, আলেক্সান্দ্রোস হো মেগাস; ) নামে জগদ্বিখ্যাত, ছিলেন ম্যাসিডন নামক প্রাচীন গ্রিক রাজ্য শাসনকারী আর্গিয়াদ রাজবংশের একজন রাজা। ৩৫৬ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে পেল্লা নামক স্থানে জন্মগ্রহণ করে আলেকজান্ডার মাত্র কুড়ি বছর বয়সে তার পিতা দ্বিতীয় ফিলিপের স্থলাভিষিক্ত হন। তার শাসনকালের অধিকাংশ সময় তিনি উত্তর-পূর্ব আফ্রিকা ও পশ্চিম এশিয়া জুড়ে সামরিক অভিযান পরিচালনা করেন এবং ত্রিশ বছর বয়সের মধ্যে তিনি মিশর থেকে উত্তর পশ্চিম ভারত পর্য্যন্ত প্রাচীন বিশ্বের বৃহত্তম সাম্রাজ্যগুলির মধ্যে অন্যতম একটি সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন। এই অপরাজেয় সমরবিদ ইতিহাসের অন্যতম সফল সেনানায়ক হিসেবে পরিগণিত হন। প্রথম জীবনে ষোল বছর বয়স পর্যন্ত আলেকজান্ডার দার্শনিক অ্যারিস্টটলের নিকট শিক্ষালাভ করেন। ৩৩৬ খ্রিস্টপূর্বাব্দে দ্বিতীয় ফিলিপকে হত্যা করা হলে আলেকজান্ডার পিতার স্থলাভিষিক্ত হন। তিনি পিতার স্বপ্নপূরণের উদ্দেশ্যে পারস্য অভিমুখে সেনাবাহিনী পরিচালনা করেন। ৩৩৪ খ্রিস্টপূর্বাব্দে তিনি পারস্য সাম্রাজ্য আক্রমণ করেন, আনাতোলিয়া শাসন করেন এবং পরবর্তী দশ বছরব্যাপী পরপর সামরিক অভিযান পরিচালনা করেন। এর ফলে ইসাস ও গগ্যামিলা প্রভৃতি স্থানে অনুষ্ঠিত বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধের ফলশ্রুতি হিসেবে পারস্যের শক্তি বিনষ্ট হলে তার সাম্রাজ্য আড্রিয়াটিক সমুদ্র থেকে সিন্ধু নদ পর্যন্ত বিস্তৃত হয়। "পৃথিবীর শেষপ্রান্তে" পৌছনোর স্পৃহায় তিনি ৩২৬ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে ভারত অভিযান শুরু করেন, কিন্তু তার সেনাবাহিনীর দাবীর কারণে ফিরে যেতে বাধ্য হন। ৩২৩ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে ব্যাবিলন শহরে তার মৃত্যু হলে তার সেনাপতি ও উত্তরাধিকারীদের মধ্যে বেশ কয়েকটি গৃহযুদ্ধে তার অধিকৃত সাম্রাজ্য বহু খন্ডে ভেঙে যায়। জন্ম thumb|left|ব্রিটিশ মিউজিয়ামে রক্ষিত কিশোর আলেকজান্ডারের মূর্তি আলেকজান্ডার ৩৫৬ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে গ্রিক মাস হেকাতোম্বাইওনের ষষ্ঠ দিনে বা ২০ অথবা ২১ শে জুলাই ম্যাসিডন রাজ্যের পেল্লা নামক স্থানে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ম্যাসিডনের রাজা দ্বিতীয় ফিলিপ ও তার চতুর্থ স্ত্রী অলিম্পিয়াসের পুত্র ছিলেন। দ্বিতীয় ফিলিপের সাত বা আটজন পত্নী থাকলেও আলেকজান্ডারের জন্মদাত্রী হওয়ার কারণে অলিম্পিয়াস ফিলিপের প্রধান পত্নী ছিলেন। আলেকজান্ডারের জন্ম নিয়ে বেশ কিছু কল্পকথা প্রচলিত রয়েছে। গ্রিক জীবনীকার প্লুতার্কের রচনানুসারে, ফিলিপের সঙ্গে বিবাহের দিনে অলিম্পিয়াসের গর্ভে বজ্রপাত হয়। বিবাহের কয়েকদিন পর ফিলিপ একটি স্বপ্নে দেখেন যে, অলিম্পিয়াসের যোনিদ্বার সিংহের ছাপযুক্ত একটি শীলমোহর দ্বারা বন্ধ অবস্থায় রয়েছে। প্লুতার্ক এই সমস্ত অলৌকিক ঘটনার বেশ কিছু ব্যাখ্যা দেন এই ভাবে যে, অলিম্পিয়াস বিবাহের পূর্ব হতেই গর্ভবতী ছিলেন এবং আলেকজান্ডার জিউসের সন্তান ছিলেন। যদিও ঐতিহাসিক ইতিহাসবেত্তাদের মতে, উচ্চাকাঙ্খী অলিম্পিয়াস আলেকজান্ডারের ঐশ্বরিক পিতৃত্বের কাহিনী প্রচলিত করেন। আলেকজান্ডারের জন্মের দিন ফিলিপ পটিডিয়া অবরোধের পরিকল্পনা করছিলেন। সেই দিনই তিনি তার সেনাপতি পার্মেনিয়ন দ্বারা ইলিরিয়া ও পীওনিয়া রাজ্যের সেনাবাহিনীর পরাজয়ের এবং অলিম্পিক গেমসে তার অশ্বের জয়লাভের সংবাদ লাভ করেন। কথিত যে, আলেকজান্ডারের জন্মদিবসের প্রাচীন বিশ্বের অন্যতম আশ্চর্য হিসেবে পরিগণিত আর্তেমিসের মন্দির ভস্মীভূত হয়। আর্তেমিস আলেকজান্ডার জন্ম উদযাপন করতে যাওয়ায় এই ঘটনা ঘটে বলে কল্পকাহিনী প্রচলিত হয়। আলেকজান্ডারকে অতিমানবিক ও মহান কার্যের জন্য নির্দিষ্ট হিসেবে দেখানোর উদ্দেশ্যে তার সিংহাসনলাভের পর এই সমস্ত অলৌকিক কাহিনীর প্রচলন করা হয় বলে মনে করা হয়ে থাকে। শিক্ষা thumb|জাঁ লিয়ঁ জেরোম ফেরিসের তুলিতে অ্যারিস্টটলের নিকট হতে শিক্ষালাভরত আলেকজান্ডার শৈশবে আলেকজান্ডারকে লানিকে নামক একজন সেবাব্রতী পালন করেন। পরে অলিম্পিয়াসের আত্মীয় লিওনাইদাস এবং দ্বিতীয় ফিলিপের সেনাপতি লুসিম্যাকোস শিক্ষাপ্রদান করেন। অন্যান্য সম্ভ্রান্ত ম্যাসিডনীয় কিশোরদের মতই তাকে পড়া, যুদ্ধ করা, শিকার করা প্রভৃতি বিষয়ে শিক্ষাপ্রদান করা হয়। তেরো বছর বয়স হলে দ্বিতীয় ফিলিপ আলেকজান্ডারের শিক্ষার জন্য আইসোক্রাতিস ও স্পিউসিপাস নামক দুইজন গ্রিক শিক্ষাবিদকে গণ্য করেন কিন্তু তারা এই কাজে অস্বীকৃত হন। অবশেষে দ্বিতীয় ফিলিপ গ্রিক দার্শনিক অ্যারিস্টটলকে আলেকজান্ডারের শিক্ষক হিসেবে নিযুক্ত করেন এবং মিয়েজার মন্দিরকে শ্রেণীকক্ষ হিসেবে প্রদান করেন। আলেকজান্ডারকে শিক্ষাপ্রদান করায় দ্বিতীয় ফিলিপ অ্যারিস্টটলের শহর স্তাগেইরা পুনর্নির্মাণের ব্যবস্থা করেন। তিনি এই শহরের সকল প্রাক্তন অধিবাসী যারা দাস হিসেবে জীবনযাপন করছিলেন, তাদের ক্রয় করে মুক্ত করেন ও নির্বাসিতদের শাস্তি মুকুব করেন। মিয়েজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আলেকজান্ডারের সাথে প্রথম টলেমি সোতের, হেফাইস্তিওন, কাসান্দ্রোস ইত্যাদি ম্যাসিডোনিয়ার সম্ভ্রান্ত পরিবারের কিশোরেরা শিক্ষালাভ করেন, যাদের মধ্যে অধিকাংশই পরবর্তীকালে আলেকজান্ডারের বন্ধু এবং সমর অভিযানের সেনাপতি হিসেবে পরিগণিত হন। অ্যারিস্টটল তাদের চিকিৎসাবিদ্যা, দর্শন, নীতি, ধর্ম, তর্কবিদ্যা ও কলা সম্বন্ধে শিক্ষাপ্রদান করেন। তার শিক্ষায় আলেকজান্ডারের হোমারের ইলিয়াড মহাকাব্যের প্রতি প্রগাঢ় প্রেমের উন্মেষ ঘটে, যা তিনি তার ভবিষ্যতের সকল অভিযানে সঙ্গে নিয়ে যেতেন। ফিলিপের উত্তরাধিকারী রাজপ্রতিনিধিত্ব ষোল বছর বয়সে অ্যারিস্টটলের অধীনে আলেকজান্ডারের শিক্ষালাভ শেষ হয়। এই সময় দ্বিতীয় ফিলিপ তাকে রাজপ্রতিনিধি ও উত্তরাধিকারী হিসেবে নিয়োগ করে বাইজেন্টিয়ন আক্রমণ করেন। ফিলিপের অনুপস্থিতিতে থ্রেস অঞ্চলের মাইদোই জনজাতিরা বিদ্রোহ ঘোষণা করলে, আলেকজান্ডার দ্রুত তাদের বিরুদ্ধে যাত্রা করে তাদের বিতাড়িত করেন ও তাদের অঞ্চলে আলেকজন্দ্রোপোলিস মাইদিকা নামক একটি নগরীর পত্তন করেন। ফিলিপ তার অভিযান থেকে ফিরে এলে তিনি আলেকজান্ডারকে দক্ষিণ থ্রেস অঞ্চলে একটি বিদ্রোহ দমন করতে পাঠান। এই সময় পেরিন্থাস নামক একটি গ্রিক শহরের বিরুদ্ধে অভিযানের সময় আলেকজান্ডার তার পিতার জীবনরক্ষা করেন। ৩৩৮ খ্রিস্টপূর্বাব্দে ফিলিপ ও আলেকজান্ডার বহু কষ্টে থিবসের নিকট হতে থার্মোপেলি অধিকার করে আরো দক্ষিণে ইলাতেইয়া নগরী অভিমুখে অভিযান শুরু করেন। এথেনীয়দের পক্ষে দিমোস্থেনিস ম্যাসিডোনীয়দের বিরুদ্ধে থিবসের সহযোগিতা প্রার্থনা করলে, ফিলিপ থিবসের দিকে মিত্রতার প্রস্তাব রাখেন। কিন্তু এথেন্সের সঙ্গে থিবসের মিত্রতা স্থাপিত হলে, ফিলিপ অ্যাম্ফিসা নগরী অধিকার করেন। এরপর ইলাতেইয়া নগরী অভিমুখে পুনরায় যাত্রা শুরু করে শান্তি প্রস্তাব করলে এথেন্সের সঙ্গে থিবস উভয়েই এই প্রস্তাব নাকচ করে দেয়। ফিলিপ দক্ষিণে যাত্রা শুরু করলে তার প্রতিপক্ষরা তাকে কাইরেনিয়া নামক স্থানে প্রতিহত করেন এবং যুদ্ধে ফিলিপ ডানদিক হতে ও আলেকজান্দার বামদিক হতে আক্রমণ পরিচালনা করেন। দ্বিতীয় ফিলিপ ইচ্ছাকৃত ভাবে পিছু হটে এথন্সের সমর অনভিজ্ঞ যোদ্ধাদের প্রলুব্ধ করে তাদের প্রতিরক্ষা ভেঙে ফেলেন, অপরদিকে আলেকজান্ডার ও ফিলিপের সেনাপতিরা থিবসের প্রতিরক্ষা ভাঙ্গতে সক্ষম হন। এরপর তাদের দিকে আক্রমণ শুরু করে প্রথমে এথেনীয়দের পরাজিত করে থিবসের সেনাবাহিনীকে ঘিরে ফেলে তাদের পরাজিত করা হয়। এই জয়লাভের পর দ্বিতীয় ফিলিপ তাদের অভিযান স্পার্টা শহর পর্য্যন্ত বজায় রাখেন ও স্পার্টা ব্যতীত প্রত্যেক শহরে সম্মানের সঙ্গে তাদের স্বাগত জানানো হয়। করিন্থ শহরে দ্বিতীয় ফিলিপ স্পার্টা ব্যতীত প্রত্যেক গ্রিক শহরের সঙ্গে একটি 'স্বর্গীয় মৈত্রী' প্রতিষ্ঠা করেন, যার ফলে তাকে ঐ মিত্রগোষ্ঠীর প্রধান সেনাপতি হিসেবে গণ্য করা হয়। নির্বাসন সমরাভিযান থেকে ফিরে এসে ফিলিপ তার সেনাপতি আত্তালোসের ভ্রাতুষ্পুত্রী ক্লিওপাত্রা ইউরিদিকেকে বিবাহ করেন। ক্লিওপাত্রার যে কোন সন্তান পিতা-মাতা উভয় দিক থেকেই ম্যাসিডোনিয় হওয়ায় এই বিবাহের ফলে সিংহাসনের উত্তরাধিকারী হিসেবে আলেকজান্ডারের অবস্থান কিছুটা অসুরক্ষিত হয়ে পড়ে, কারণ আলেকজান্ডার পিতার দিক থেকে ম্যাসিডোনিয় হলেও মাতার দিক থেকে এপাইরাসীয় ছিলেন। বিবাহের সময় মদ্যপ অবস্থায় আত্তালোস ফিলিপ ও ক্লিওপাত্রার মিলনের ফলে একজন বৈধ উত্তরাধিকারীর কথা উল্লেখ করলে দৃশ্যতঃ ক্ষুব্ধ আলেকজান্ডার তার মাথায় পানপাত্র ছুঁড়ে মারেন, কিন্তু মদ্যপ ফিলিপ আত্তালোসের পক্ষ গ্রহণ করলে আলেকজান্ডার দোদোনা শহরে তার মাতুল এপাইরাসের রাজা প্রথম আলেকজান্ডারের নিকট তার মাতা অলিম্পিয়াসকে রেখে ইলিরিয়ার রাজার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করেন; যদিও কয়েকমাস পূর্বে আলেকজান্ডার ইলিরিয়াকে একটি যুদ্ধে পরাজিত করেন, তবুও ইলিরিয়ায় তাকে স্বাগত জানানো হয়। যাই হোক, ফিলিপ রাজনৈতিক ও সামরিকভাবে প্রশিক্ষিত পুত্রকে ত্যাজ্য করতে কখনোই রাজী ছিলেন না, ফলে দেমারাতোস নামক পারিবারিক বন্ধুর মধ্যস্থতায় ছয় মাস পরে আলেকজান্ডার ম্যাসিডনে ফিরে যান। পরের বছর, পারস্যের কেয়ারিয়া অঞ্চলের সত্রপ পিক্সোদারোস তার জ্যেষ্ঠা কন্যার সঙ্গে আলেকজান্ডারের জ্যেষ্ঠ সৎভাই আররিদাইওসের বিবাহের প্রস্তান দেন। ফিলিপের উত্তরাধিকারী হিসেবে আররিদাইওসের নাম বিবেচিত হওয়ার আশঙ্কায় আলেকজান্ডার করিন্থ শহরের একজন অভিনেতা থেসেলাসকে পিক্সোদারোসের নিকট পাঠিয়ে বার্তা দেন যে, তিনি যেন তার কন্যার সঙ্গে দ্বিতীয় ফিলিপের অবৈধ সন্তান আররিদাইওসের বিবাহ না দিয়ে আলেকজান্ডারের সঙ্গে বিবাহের সিদ্ধান্ত বিবেচনা করেন। ফিলিপ এই ঘটনার কথা শুনে এই বিবাহ প্রস্তাব নাকচ করে দেন এবং থেসেলাসকে বন্দী করেন। সিংহাসনলাভ thumb|পঞ্চদশ শতকের চিত্রে আলেকজান্ডারের অভিষেক ৩৩৬ খ্রিস্টপূর্বাব্দে এপাইরাসের রাজা প্রথম আলেকজান্ডারের সাথে নিজ কন্যা ক্লিওপাত্রার বিবাহের সময় দ্বিতীয় ফিলিপ তার দেহরক্ষীবাহিনীর প্রধান পাউসানিয়াসের হস্তে খুন হন। পালানোর সময় পাউসানিয়াসকে হত্যা করা হয়। ম্যাসিডোনিয়ার সম্ভ্রান্ত ও সেনাবাহিনীর সমর্থনে আলেকজান্ডার মাত্র কুড়ি বছর বয়সে ম্যাসিডোনিয়ার শাসক হিসেবে সিংহাসনলাভ করেন। শক্তিসঞ্চয় আলেকজান্ডার সিংহাসনলাভ করেই তার সম্ভাব্য শত্রুদের সরিয়ে দিতে শুরু করেন। তিনি প্রথমেই ম্যাসিডনের পূর্বতন রাজা চতুর্থ আমুনতাসকে হত্যা করেন। দ্বিতীয় ফিলিপকে হত্যার অভিযোগে হেরোমেনেস ও আরহাবিয়াস নামক দুইজন সম্ভ্রান্ত ম্যাসিডোনীয়কে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। আলেকজান্ডারের মাতা অলিম্পিয়াস তার সতীন ক্লিওপাত্রা ইউরিদিকের দুই সন্তান ইউরোপা ও কারানোসকে হত্যা করলে, ক্লিওপাত্রা ইউরিদিকে সম্ভবতঃ আত্মহত্যা করেন। আলেকজান্ডার এশিয়া মাইনর অঞ্চলের দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনাপতি আত্তালোসকেও হত্যার নির্দেশ দেন। আত্তালোস দ্বারা পূর্বের অপমানের প্রতিশোধের কারণেই তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বলে মনে করা হয়। মানসিক ভাবে প্রতিবন্ধীতে পরিণত হওয়ায় আলেকজান্ডার আররিদাইওসের কোন ক্ষতি না করেই ছেড়ে দেন। দ্বিতীয় ফিলিপের মৃত্যুরে সংবাদ ছড়িয়ে পড়তেই থিবস, এথেন্স, থ্রেস প্রভৃতি রাজ্যে বিদ্রোহ শুরু হলে আলেকজান্ডার দ্রুত পদক্ষেপ নিতে শুরু করেন। তিনি ৩০০০ ম্যাসিডোনিয় অশ্বারোহী বাহিনী নিয়ে থেসালি অভিমুখে দক্ষিণে যাত্রা করেন। থেসালির সেনা অলিম্পাস পর্বত ও ওসা পর্বতের মধ্যবর্তী গিরিখাতে অবস্থান করছিল। আলেকজান্ডার তার বাহিনীকে ওসা পর্বত আরোহণ করতে নির্দেশ দেন। পরের দিন থেসালির সেনা তাদের পশ্চাতে আলেকজান্ডারের বাহিনীকে দেখতে পেয়ে দ্রুত আত্মসমর্পণ করে। আলেকজান্ডারের বাহিনী দ্রুত পেলোপোনেসের দিকে দক্ষিণাভিমুখে যাত্রা করে। থার্মোপাইলি শহরে তাকে স্বর্গীয় মৈত্রী সঙ্ঘের নেতা হিসেবে গ্রহণ করা হয়। এরপর তিনি করিন্থ অভিমুখে যাত্রা করলে এথেন্স শান্তির জন্য আবেদন করে এবং আলেকজান্ডার বিদ্রোহীদের ক্ষমা করেন। এই শহরেই দার্শনিক ডায়োজেনিসের সঙ্গে তাঁর বিখ্যাত আলাপটি ঘটে। এই শহরে তাকে পারস্যের বিরুদ্ধে যুদ্ধের সর্বাধিনায়ক হিসেবে ঘোষণা করা হয়। সামরিক অভিযান বলকান অভিযান এশিয়া অভিযানের পূর্বে আলেকজান্ডার তার উত্তর সীমান্ত সুরক্ষিত করতে চেয়েছিলেন। ৩৩৫ খ্রিস্টপূর্বাব্দের বসন্তকালে তিনি বেশ কিছু বিদ্রোহ দমন করতে অগ্রসর হন। অ্যাম্ফিপোলিস থেকে পূর্বদিকে যাত্রা শুরু করে তিনি হিমাস পর্বতের পাদদেশে থ্রেসের সেনাবাহিনীকে পরজিত করেন। এরপর ম্যাসিডোনিয়ার সেনা ট্রিবাল্লি রাজ্যে পৌঁছে লিগনিয়াস নদীর তীরে সেই রাজ্যের সেনাবাহিনীকে পরজিত করে। এরপর তিনদিন টানা যাত্রা করে আলেকজান্ডার দানিয়ুব নদীর তীরে গেটাই জনজাতির সম্মুখীন হন এবং রাতের বেলা নদী পার হয়ে তাদের ওপর অতর্কিতে আক্রমণ করে তাদের পরাজিত করেন। এই সময় ইলিতিয়ার রাজা ক্লেইতোস ও তাউলান্তিওইর রাজা গ্লাউকিয়াস আলেকজান্ডারের কর্তৃত্বের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করলে, ম্যাসিডোনিয়ার বাহিনী পশ্চিমে যাত্রা করে এই দুই রাজাকে পরাজিত করলে তার রাজ্যের উত্তর সীমান্ত সুরক্ষিত হয়। আলেকজান্ডারের উত্তরদিকের অভিযানের সময় থিবস ও এথেন্স পুনরায় বিদ্রোহ ঘোষণা করলে তিনি দক্ষিণে যাত্রা করেন। থিবস আলেকজান্ডারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে পরাজিত হয় এবং আলেকজান্ডার থিবস নগরীকে ধ্বংস করেন। এই পরিণতিতে এথেন্স সমর্পণ করে ও গ্রিসে সাময়িক ভাবে শান্তি স্থাপিত হয়। এরপর আলেকজান্ডার আন্তিপাত্রোসকে রাজপ্রতিনিধি হিসেবে নিযুক্ত করে এশিয়ার অভিযানে মনোনিবেশ করেন। পারস্য অভিযান এশিয়া মাইনর ৩৩৪ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে ম্যাসিডোনিয়া ছাড়াও থ্রেস, ইলিরিয়া ও পাইওনিয়া থেকে আনুমানিক ৪৮,১০০ পদাতিক, ৬,১০০ অশ্বারোহী ও ১২০টি জাহাজে ৩৮,০০০ নাবিক নিয়ে আলেকজান্ডারের বাহিনী হেলেস্পোন্ট পার করেন। আলেকজান্ডার এশিয়ার মাটিতে একটি বল্লম ছুঁড়ে ঘোষণা করেন যে, তিনি দেবতাদের নিকট হতে এশিয়াকে উপহার হিসেবে গ্রহণ করেছেন। ৮ই এপ্রিল গ্রানিকাসের যুদ্ধে প্রাথমিক সাফল্যের পর আলেকজান্ডারের নিকট পারস্যের প্রাদেশিক রাজধানী সার্দেয়িস আত্মসমর্পণ করে। এরপর তিনি ইওনিয়ার তীর বরাবর বিভিন্ন শহরকে স্বায়ত্ত্বশাসন প্রদান করেন। পারস্য সেনাবাহিনীর অধিকৃত মাইলিটাসে শহরটি অধিকার করতে তাকে রণকুশলতার পরিচয় দিতে হয়। আরো দক্ষিণে হালিকার্নাসসোসে আলেকজান্ডার তার প্রথম ব্যাপক অবরোধ পরিচালনা করেন ও ধীরে ধীরে পারস্য সত্রপ ওরোন্তোবাতেস ও রোডসের মেমনন সমুদ্রপথে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন। আলেকজান্ডার কেয়ারিয়ার শাসনভার আদার ওপর ন্যস্ত করেন। হালিকার্নাসসোস হতে আলেকজান্ডার পাহাড়ী লাইকিয়া এবং প্যামফিলিয়ার সমতল ভূমি বরাবর চলতে থেকে সকল উপকূলীয় শহর দখল করেন। প্যামফাইলিয়া থেকে সামনে আর কোন গুরুত্বপূর্ণ বন্দর না থাকায় আলেকজান্ডার ভূমির দিকে অভিযান শুরু করেন। তের্মেসোসে আলেকজান্ডার পিসিদিয়া দখল করলেও তেমন ধ্বংসযজ্ঞ করেন নাই। প্রাচীন ফিজিয়ার রাজধানী গর্দিওনে পৌঁছলে আলেকজান্ডার একটি অসমাধেয় গিঁট খোলেন, যা একমাত্র এশিয়ার শাসকের দ্বারাই করা সম্ভব বলে প্রবাদ প্রচলিত ছিল। কথিত আছে। এই গিঁটটি তিনি তার তলোয়ার দিয়ে কেটে ফেলেন। লেভ্যান্ট ও সিরিয়া thumb|নেপলস প্রত্নতাত্ত্বিক সংগ্রহালয়ে রক্ষিত ইসাসের যুদ্ধের চিত্র ৩৩৩ খ্রিস্টপূর্বাব্দে আলেকজান্ডার তার সেনাবাহিনী নিয়ে টরাস হতে সিসিলিয়া পৌঁছান। দীর্ঘ সময় অসুস্থ থাকার পর তিনি সিরিয়ার দিকে রওনা হন। তৃতীয় দারিয়ুসের বিশাল সেনাবাহিনীর মুখোমুখি হতে না চেয়ে তিনি সিসিলিয়া ফিরে আসেন এবং ইসাসের যুদ্ধে তৃতীয় দারিয়ুসকে পরাজিত করেন। যুদ্ধক্ষেত্র থেকে তৃতীয় দারিয়ুস তার মাতা সিসিগম্বিস, স্ত্রী, দুই কন্যা এবং ব্যক্তিগত সম্পদের বেশির ভাগ ফেলে নিজের প্রাণ বাচিয়ে পালিয়ে যান। দারিয়ুস আলেকজান্ডারকে একটি শান্তি চুক্তি প্রেরণ করেন, যেখানে তিনি তার হৃত জমি ও তার পরিবারের মুক্তিপণ হিসেবে ১০,০০০ মুদ্রা প্রদানের কথা বলেন, কিন্তু আলেকজান্ডার নিজেকে এশিয়ার অধিপতি ঘোষণা করে তার এই প্রস্তাব নাকচ করে দেন। এরপর আলেকজান্ডার সিরিয়া ও লেভ্যান্টের উপকূল বরাবর যাত্রা করে ৩৩২ খ্রিস্টপূর্বাব্দে তায়ার অবরোধ করে বহুকষ্টে শহরটি দখল করতে সক্ষম হন। তিনি শহরের কর্মক্ষম সকল পুরুষকে হত্যা করে নারী ও শিশুদের দাস হিসেবে বিক্রি করে দেন। মিশর thumb|লুভর সংগ্রহালয়ে সংরক্ষিত প্রাচীন হায়ারোগ্লিফ লিপিতে লিখিত আলেকজান্ডারের নাম তায়ার ধ্বংস করার পর মিশর অভিমুখী অধিকাংশ শহর দ্রুত সমর্পণ করে। আলেকজান্ডার জেরুজালেম শহরের কোন ক্ষতি না করে দক্ষিণে মিশরের দিকে যাত্রা করেন। কিন্তু গাজা শহরে তাকে প্রচন্ড বাঁধার সম্মুখীন হতে হয়। পাহাড়ের ওপর অবস্থিত সুরক্ষিত এই শহর অধিকার করতে তিনবার চেষ্টা করে সফল হলেও আলেকজান্ডার তার কাঁধে গুরুতর ভাবে আহত হন। টায়ারের মতোই গাজা শহরের সকল কর্মক্ষম পুরুষদের হত্যা করে নারী ও শিশুদের দাস হিসেবে বিক্রি করে দেওয়া হয়। ৩৩২ খ্রিস্টপূর্বাব্দে আলেকজান্ডার মিশর অভিমুখে যাত্রা করলে তাকে মুক্তিদাতা হিসেবে স্বাগত জানানো হয়। লিবিয়ার মরুভূমিতে সিওয়া মরুদ্যানে তাকে দেবতা আমুনের পুত্র হিসেবে ঘোষণা করা হয়। আলেকজান্ডারের স্বর্গীয় ভাবমূর্তি প্রতিষ্ঠা করতে মুদ্রায় তার প্রতিচ্ছবিতে তার মাথায় ভেড়ার শিং থাকত। মিশরে থাকার সময় তিনি আলেকজান্দ্রিয়া প্রতিষ্ঠা করেন। ব্যাবিলন ৩৩১ খ্রিস্টপূর্বাব্দে মিশর ত্যাগ করে আলেকজান্ডার পূর্বে মেসোপটেমিয়া অভিমুখে যাত্রা করে গাউগামেলার যুদ্ধে তৃতীয় দারিয়ুসকে পরাজিত করেন। যুদ্ধক্ষেত্র থেকে দারিয়ুস আবার পলায়ন করলে আলেকজান্ডার তাকে আরবেলা পর্যন্ত ধাওয়া করেন। গাউগামেলার যুদ্ধ উভয় প্রতিপক্ষের মধ্যে অন্তিম যুদ্ধ ছিল। তৃতীয় দারিয়ুস হাইগমতান পাহাড়ে আশ্রয় নিলে আলেকজান্ডার ব্যাবিলন অধিকার করেন। পারস্য ব্যাবিলন থেকে আলেকজান্ডার অন্যতম হাখমানেশী রাজধানী সুসাতে যান এবং এই শহরের প্রবাদপ্রতিম কোষাগার দখল করেন। এরপর সেনাবাহিনীর একটি বড় অংশ শাহী সড়ক হয়ে পারস্যের রাজধানী পার্সেপোলিস পাঠিয়ে দেন। অন্যদিকে, নিজে কয়েকজন বাছাই করা সৈন্য নিয়ে সোজা পথে শহরর দিকের রওনা হন। এই জন্য তাকে আরিওবার্জানেসের নেতৃত্বে পারস্য সেনাকে পরাজিত করে পারস্য দ্বার দখল করতে হয়। পার্সেপোলিস পৌঁছে পরবর্তী বেশ কয়েক দিন ধরে আলেকজান্ডার তার সেনাবাহিনীকে শহরের সম্পদ লুঠ করতে দেন। এই শহরে পাঁচ মাস থাকাকালীন প্রথম জারক্সেসের প্রাসাদে আগুন ধরে শহরের অধিকাংশ ভস্মীভূত হয়ে যায়। হাখমানেশী সাম্রাজ্যের পতন আলেকজান্ডার এরপর তৃতীয় দারিয়ুসকে মিদিয়া ও পার্থিয়া পর্য্যন্ত ধাওয়া করেন। এই সময় তৃতীয় দারিয়ুস বেসাস নামক তার ব্যাক্ট্রিয়ার সত্রপ দ্বারা বন্দী হন। আলেকজান্ডারের আগমণে বেসাস তাকে হত্যা করে নিজেকে তৃতীয় দারিয়ুসের উত্তরাধিকারী ঘোষণা করেন এবং মধ্য এশিয়ায় পিছু হঠে আলেকজান্ডারের বিরুদ্ধে গেরিলা যুদ্ধ শুরু করেন। আলেকজান্ডার রাজকীয় সম্মানে পূর্বতন হাখমানেশী সম্রাটদের পাশে তৃতীয় দারিয়ুসের দেহাবশেষ সমাধিস্থ করেন। মৃত্যুর পূর্বে দারিয়ুস তাকেই সাম্রাজ্যের উত্তরাধিকারী ঘোষণা করেছেন বলে তিনি দাবী করেন। আলেকজান্ডার বেসাসকে একজন বিদ্রোহী হিসেবে গণ্য করে তাকে পরাজিত করতে বেরিয়ে পড়েন। এই অভিযানের ফলে মধ্য এশিয়ায় তিনি বেশ কয়েকটি আলেকজান্দ্রিয়া নগরী স্থাপন করেন। এই অভিযান চালাতে গিয়ে আলেকজান্ডার মিদিয়া, পার্থিয়া, আরিয়া, দ্রাগগিয়ানা, আরাকোসিয়া, ব্যাক্ট্রিয়া এবং সিথিয়া জয় করেন। ৩২৯ খ্রিস্টপূর্বাব্দে সোগদিয়ানার স্পিটামেনেস নামক জনীক আধিকারিক বেসাসের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা করে তাকে প্রথম টলেমী সোটেরের হাতে তুলে দিলে বেসাসকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। কিন্তু কিছুদিন পরে যখন আলেকজান্ডার যখন জাক্সার্টেস অঞ্চলে একটি অশ্বারূঢ় যাযাবর সেনাবাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত ছিলেন, স্পিতামেনেস সোগদিয়ানায় বিদ্রোহ শুরু করেন। আলেকজান্ডার জাক্সার্তেসের যুদ্ধে সিথিয়াবাসীদের পরাজিত করে গাবাইয়ের যুদ্ধে স্পিতামেনেসকে পরাজিত করলে স্পিতামেনেস নিজের সৈন্যদের দ্বারা নিহত হন। সমস্যা ও ষড়যন্ত্র thumb|আন্দ্রে ক্যাস্টেইনের তুলিতে ক্লাইটাসের হত্যা পারস্য জয়ের পর আলেকজান্ডার তার সভায় পারস্যের বেশ কিছু পোশাক এবং হস্তে চুম্বন ও দেবতাদের প্রতি ভূমিতে উল্লম্ব ভাবে শুয়ে সম্মান প্রদর্শন ইত্যাদি রীতিনীতির প্রচলন করেছিলেন। গ্রিকদের মনে এই কারণে অসন্তোষের জন্ম হয়, যে আলেকজান্ডার তার প্রতি এই সব রীতির প্রদর্শন করিয়ে নিজেকে দেবতার আসনে উন্নীত করতে চেয়েছেন। এই অসন্তোষের ফলে আলেকজান্ডারকে এই রীতি বন্ধ করতে হয়। আলেকজান্ডারকে হত্যার ব্যাপারে একটি ষড়যন্ত্র আবিষ্কৃত হয়, যে কারণে ফিলোতাস নামক তার এক সেনানায়ককে মৃত্যুদন্ড দেওয়া হয়। ভবিষ্যতে প্রতিশোধ নেওয়া থেকে রুখতে হাইগমতান অঞ্চলে রাজকোষের দায়িত্বে থাকা ফিলোতাসের পিতা পার্মেনিয়নকেও আলেকজান্ডারের আদেশে হত্যা করা হয়। এরপর মরকন্দ অঞ্চলে মদ্যপ অবস্থায় বাগ-বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে, আলেকজান্ডার স্বহস্তে তার সেনানায়ক ক্লেইতোসকে হত্যা করেন, ঘটনাক্রমে যিনি গ্রানিকাসের যুদ্ধে আলেকজান্ডারের প্রাণ রক্ষা করেছিলেন। পরবর্তীকালে মধ্য এশিয়ার অভিযানের সময়, তাকে হত্যার একটি দ্বিতীয় ষড়যন্ত্র আবিষ্কৃত হয়। তার সভার ঐতিহাসিক ক্যালিস্থেনিস এই ষড়যন্ত্রে অভিযুক্ত হন, যদিও তার লিপ্ত থাকার ব্যাপারে ঐতিহাসিকদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে। ভারত অভিযান ম্যাসিডনের রাজা আলেকজান্ডারের ভারতবর্ষ আক্রমণ ভারতের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। পারস্য বিজয়ে পর শুরু হয় তার ভারত আগ্রাসন। খ্রিস্টপূর্ব ৩৩১ অব্দে তিনি পারস্য সাম্রাজ্য আক্রমণ করেন। সে সময় সিন্ধুনদ পারস্য সাম্রাজ্যের সীমানা ছিল। আলেকজান্ডারের ভারতবর্ষ আক্রমণের প্রাক্কালে উত্তর-পশ্চিম ভারত পরস্পরবিরোধী অনেকগুলো রাজ্যে বিভক্ত ছিল। তাদের পক্ষে ঐক্যবদ্ধ হয়ে বহিরাক্রমণ ঠেকানো সম্ভবপর ছিল না। খ্রিস্টপূর্ব ৩২৮ অব্দের মধ্যে সমগ্র পারস্য এবং আফগানিস্তান আলেকজান্ডারের দখলে আসে। অত:পর আলেকজান্ডার খ্রিস্টপূর্ব ৩২৭ অব্দে হিন্দুকুশ পর্বত অতিক্রম করে ভারত অভিমুখে অগ্রসর হন। খ্রিস্টপূর্ব ৩২৬ অব্দে তিনি ভারত নাম ভূখণ্ডে পদার্পণ করেন। আলেকজান্ডার পুষ্কলাবতীর রাজা অষ্টককে পরাভূত করেন, অশ্বক জাতিও তার নিকট পরাভূত হয়, তক্ষশীলার রাজা তার নিকট স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করে, ঝিলাম রাজ পুরু বীরত্বের সঙ্গে যুদ্ধ করে পরাভব মানতে বাধ্য হন। অত:পর আলেকজান্ডার রাভি নদীর উপকূলবর্তী রাজ্যসমূহ দখল করেন এবং বিপাশা নদী পর্যন্ত অগ্রসর হন। এই স্থলে তার রণক্লান্ত সেনাবাহিনী দেশে প্রত্যাবর্তনে উণ্মুখ হয়ে পড়লে আলেকজাণ্ডার ভারত অভিযান বন্ধ করে গ্রিসে প্রত্যাবর্তন শুরু করেন। প্রত্যাবর্তনের পথে তিনি বেলুচিস্তান ও পাঞ্জাব অধিগত করেন, ঝিলাম ও সিন্ধু নদের অন্তবর্তী সকল রাজ্য তার অধিগত হয়। ভারত ভূখণ্ডে আলেকজান্ডার প্রায় ১৯ মাস অবস্থান করেছিলেন। তিনি ভারত ত্যাগের পর প্রায় দুই বৎসরকাল তার বিজিত অঞ্চলসমূহে গ্রিক শাসন বজায় ছিল। ভারত থেকে প্রত্যাবর্তনের কিছুদিন পর খ্রিস্টপূর্ব ৩২৩ অব্দে ব্যবিলনে তার অকাল মৃত্যু হয়। অন্যদিকে চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের নেতৃত্বে মৌর্য সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠা পাঞ্জাবে গ্রিক শাসনের অবসান ত্বরান্বিত করে। আলেকজান্ডার ও গঙ্গারিডই সম্রাট আলেকজান্ডার সুদূর গ্রিস থেকে একের পর এক রাজ্য জয় করে ইরান আফগানিস্তান হয়ে ভারতের পাঞ্জাবে পৌছে যায়। সুদর্শন তরুণ সম্রাটের চোখে সারা পৃথিবী জয়ের স্বপ্ন। পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ শক্তিশালী সেনাবাহিনীর অধিকারি তিনি। বিখ্যাত ইরান সম্রাট দারায়ুস থেকে শুরু করে উত্তর পশ্চিম ভারতের পরাক্রমশালী রাজা পুরু পর্যন্ত কেউ তার সামনে দাড়াতে পারে নাই। এখন তার সামনে মাত্র একটা বাধা, বিপাশা নদীর ওপারের গঙ্গারিডই রাজ্য। ভারতের মূল ভুখন্ড। এটুকু করতলগত হলেই সমগ্র ভারত তার দখল হয়ে গেল। যে স্বপ্ন নিয়ে নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিলেন গ্রিক রাষ্ট্র মেসিডোনিয়া থেকে, তা পরিপূর্ণতা পাবে। এদিকে গঙ্গারিডই রাজ্যের রাজা তার বিশাল বাহিনী নিয়ে নদীর এপাড়ে আলেকজান্ডারকে প্রতিহত করতে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত। গঙ্গারিডই সম্পর্কে প্রাচীন গ্রিক ও ল্যাটিন ঐতিহাসিকগণের লেখায় তথ্য পাওয়া যায়। মেগাস্থিনিস(৩৫০ খ্রিষ্টপূর্ব-২৯০ খ্রিষ্টপূর্ব) আলেকজান্ডারের সেনাপতি ও বন্ধু সেলুকাসের রাজত্বকালে গ্রিক দূত হিসাবে ভারতে এসেছিল। তিনি লিখেন- ‘গঙ্গারিডাই রাজ্যের বিশাল হস্তী-বাহিনী ছিল। এই বাহিনীর জন্যই এ রাজ্য কখনই বিদেশি রাজ্যের কাছে পরাজিত হয় নাই। অন্য রাজ্যগুলি হস্তী-বাহিনীর সংখ্যা এবং শক্তি নিয়া আতংকগ্রস্ত থাকিত’ ‘ভারতের সমূদয় জাতির মধ্যে গঙ্গারিডাই সর্বশ্রেষ্ঠ। এই গঙ্গারিডাই রাজার সুসজ্জিত ও যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত চার হাজার হস্তী-বাহিনীর কথা জানিতে পারিয়া আলেকজান্ডার তাহার বিরূদ্ধে যুদ্ধে অবতীর্ণ হইলেন না’ - ডিওডোরাস (৯০ খ্রিষ্টপূর্ব-৩০ খ্রিষ্টপূর্ব) গঙ্গাড়িডই রাজ্যের প্রকান্ড সেনাবাহিনী বর্ণনার ক্ষেত্রে ভারতীয় ও ধ্রুপদী ইউরোপীয় রচনাগুলির উল্লেখে প্রচুর মিল খুঁজে পাওয়া যায়। ডিওডোরাস ও ক্যুইন্টাস কার্টিয়াস রুফাস উভয়েই উল্লেখ করেছেন নন্দরাজের সেনাবাহিনীর বিভিন্ন বিভাগ সম্বন্ধে। যথা- পদাতিক সৈন্য ২ লক্ষ, অশ্বারোহী সৈন্য ২০ হাজার, রথ ২ হাজার, এবং তিন থেকে চার হাজার হাতি। ধ্রুপদী গ্রিক ও ল্যাটিন বর্ণনায় রাজার নাম আগ্রাম্মেস। তিনি ছিলেন নীচকূলোদ্ভব নাপিতের পূত্র। হিন্দু পুরাণে তিনি মহাপদ্মনন্দন এবং বৌদ্ধ শাস্ত্র মাহাবোধিবংশে উগ্রসেন, অর্থ এমন এক ব্যক্তি যাঁর ‘প্রকান্ড ও পরাক্রান্ত সেনাবাহিনী’ আছে। হেমচন্দ্রের পরিশিষ্টপর্ব নামক জৈন গ্রন্থেও মহাপদ্মনন্দকে বলা হয়েছে নাপিত কুমার। পুরাণে বলা হয়েছে শূদ্রোগর্ভোদ্ভব। আরও বলা হয়েছে, ‘সর্বক্ষত্রান্তক নৃপঃ’ অর্থাৎ সকল ক্ষত্রিয়কে নিধন করে সিংহাসনে বসেছিল। এই পর্যন্ত আলোচনায় গঙ্গারিডাই নামের পরাক্রান্ত রাজ্যের প্রমাণ পাওয়া গেল। যেটা ছিল পাঞ্জাব পর্যন্ত সমূদয় গঙ্গা অববাহিকায় নিয়ে গঠিত ভারতের সর্বাপেক্ষা শক্তিশালি রাজ্য। বিজিত স্থানীয় ছোট ছোট ভূস্বামীরা আলেকজান্ডারকে জানাল অপর পাড়ের দেশটির ঐশ্বর্যের কথা, অপরাজেয় সৈন্যবাহিনীর কথা। এরপর পৃথিবী বিখ্যাত এ অসীম সাহসী বীর করণীয় আলোচনার জন্য নিজের সেনাবাহিনীর সাথে পরামর্শে বসলেন এবং গঙ্গাড়িডই জয় করার জন্য উদ্বুদ্ধ করার চেষ্টা করলেন। কিন্তু সৈন্যরা এমনিতেই বছরের পর বছর যুদ্ধ করতে করতে ক্লান্ত। তাছাড়া নদীর ঐপাড়ের ভয়াবহ সেনাবাহিনীর মোকাবেলায় অপরাগতা প্রকাশ করল। বিচক্ষণ সেনাপতি সৈন্যদের পক্ষ হয়ে জানাল সৈন্যরা কেউ বিপাশা পার হয়ে নিজের জীবন দিয়ে আসতে রাজী নয়, তারা পিতামাতা, স্ত্রী, সন্তান ও জন্মভুমিতে ফিরে যাওয়ার হন্য উদ্গ্রীব। এভাবে সৈন্যদের অনাগ্রহের ফলে পাঞ্জাবের বিপাশা নদীর অপর পাড়েই গ্রিক বাহিনীর বিজয় রথ থেমে যায়। আলেকজান্ডার এরপর গ্রিক বাহিনীকে মেসিডোনিয়ার দিকে ফিরতি যাত্রার নির্দেশ দেন। বিখ্যাত বাঙালি ঐতিহাসিক ড. নীহাররঞ্জন রায় এর লিখেছেন- ভারত অভিযানের পর মৃত্যু আলেকজান্ডার ৩২৩ খ্রিষ্টপূর্ব জুন মাসের ১১ অথবা ১২ তারিখে ব্যাবিলনে দ্বিতীয় নেবুচাদনেজারের প্রাসাদে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুর সময় তার বয়স ছিল ৩২ বছর। ব্যক্তিগত জীবন আলেকজান্ডার এর শক্তিশালী ব্যক্তিত্বের বৈশিষ্ট্য তার বাবার সান্নিধ্যে গঠিত। তার মায়ের খুব উচ্চাকাঙ্ক্ষা ছিল এবং তিনি আলেকজান্ডারকে বিশ্বাস করতে উৎসাহিত করতেন যে পারস্য সাম্রাজ্য জেতাই তার নিয়তি। আলেকজান্ডারের চরিত্র আলেকজান্ডারের চরিত্র ভালো ছিল বলা কঠিন কেননা তার যুদ্ধ জয় কৌশল ও পরাজিত রাজ্যের সাধারন মানুষের প্রতি তার ব্যাবহার ছিল অমানবিক। সুতরাং তাকে বহুমাত্রিক চরিত্রের অধিকারী বলা যায়। ইতিহাস ও বর্তমান সাহিত্যে আলেকজান্ডার জীবনের নানাবিধ দর্শন উপহার দিয়েছেন এই মহাবীর। তার মৃত্যুকালীন ভাষ্য মানব জাতির জন্য এক মহান আদর্শস্বরূপ। বিভিন্ন ধর্মে আলেকজান্ডার বিভিন্ন ধর্মে আলেকজান্ডার বা তার সাথে তুলনীয় সমসাময়িক ব্যক্তির উল্লেখ পাওয়া গেছে। এসব নিয়ে ঐতিহাসিকদের মধ্যে বিভিন্ন মতামত প্রচলিত আছে। পবিত্র কুরআন শরীফে উল্লিখিত জুলকারনাইন আলেকজান্ডার ছিলেন কিনা তা নিয়েও মতপার্থক্য আছে। পাদটীকা তথ্যসূত্র আরো পড়ুন . বহিঃসংযোগ . Part 1, Part 2, Part 3, Part 4, Part 5, Part 6. . . . আলেকজান্ডার দ্য গ্রেট বাংলাদেশ প্রতিদিন, ২৬ এপ্রিল ২০১৮, পৃষ্ঠা ৫। বিষয়শ্রেণী:খ্রিস্টপূর্ব ৩৫৬-এ জন্ম বিষয়শ্রেণী:খ্রিস্টপূর্ব ৩২৩-এ মৃত্যু বিষয়শ্রেণী:আর্গিয়াদ রাজবংশ বিষয়শ্রেণী:দেবত্বারোপিত ব্যক্তি
মহান আলেকজান্ডার
right|thumb|আলেকজান্ডারের বুসেফেলাসকে বশে আনা বুসেফেলাস মহামতি আলেকজান্ডারের ঘোড়ার নাম । আলেকজান্ডার সম্পর্কিত বিভিন্ন উপকথা এবং কাহিনীতে এই ঘোড়ার নামের উল্লেখ পাওয়া যায়। কথিত আছে, বুসেফেলাস আলেকজান্ডারের শেষ যুদ্ধে মৃত্যুবরণ করার আগ পর্যন্ত সকল যুদ্ধে আলেকজান্ডারের সাথে ছিল। ভারত হতে ফেরার সময় আলেকজান্ডারে বুসেফেলাসের নামে একটি স্থানের নামকরণ করেন। প্রচলিত কাহিনী একদিন আলেকজান্ডার তার পিতা ফিলিপ সাথে হাঁটছিলেন। তারা একস্থানে এসে দেখলেন কতগুলো লোক একটি কাল বর্ণের পাগলা ঘোড়াকে বশে আনতে চেষ্টা করছে। আলেকজান্ডারের ঘোড়াটাকে পছন্দ হল এবং তিনি তার পিতার কাছে আর্জি করলেন তাকে ঐ ঘোড়াটা কিনে দিতে। ফিলিপ হেসে বললেন, তুমি যদি ঘোড়াটাকে বশে আনতে পারো, তবেই ঘোড়াটাকে তুমি পেতে পার। আলেকজান্ডার ঘোড়াটাকে ভালোমত লক্ষ করে বুঝতে পারলো, আসলে ঘোড়াটা তার নিজের ছায়া (ঘোড়ার) প্রতি ভীত। সে ঘোড়াটার দিকে এগিয়ে গেলেন এবং ওটাকে সূর্যের দিকে মুখ করালেন যেন সে তার নিজের ছায়ার দিকে লক্ষ্য করতে না পারে। ফলশ্রুতিতে, ঘোড়াটা সহজেই বশে আসলো। ফিলিপ ঘোড়াটাকে আলেকজান্ডারকে কিনে দিলেন। আলেকজান্ডার ঘোড়াটার নামকরণ করলেন, বুসেফেলাস (যার অর্থ ষাড়ের মাথা)। বিষয়শ্রেণী:প্রাচীন গ্রিস
বুসেফেলাস
নিকোলা টেসলা (সার্বীয়: Никола Тесла; ১০ জুলাই ১৮৫৬ - ৭ জানুয়ারি ১৯৪৩) ছিলেন একজন সার্বিয়ান-আমেরিকান উদ্ভাবক, তড়িৎ প্রকৌশলী, যন্ত্র প্রকৌশলী এবং ভবিষ্যবাদী, যিনি আধুনিক পরিবর্তী তড়িৎ প্রবাহ ও তারবিহীন তড়িৎ পরিবহন ব্যবস্থা আবিষ্কারের জন্য সর্বাধিক পরিচিত। অস্ট্রিয় সাম্রাজ্যে জন্ম ও বেড়ে ওঠা টেসলা ১৮৭০ সালে প্রকৌশল এবং পদার্থবিজ্ঞানে অধ্যয়ন করেন এবং ডিগ্রি না নিয়েই ১৮৮০ দশকের গোড়ার দিকে নতুন বৈদ্যুতিক শক্তি শিল্পের কন্টিনেন্টাল এডিসনে কাজ শুরু করেন। ১৮৮৪ সালে তিনি নিউইয়র্কে চলে আসেন, এবং যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব লাভ করেন। টেসলা স্বল্প সময়ের জন্য নিউইয়র্ক শহরের এডিসন মেশিন ওয়ার্কসে কাজ করেন এবং পরবর্তীতে নিজ পরিচালনায় কাজ শুরু করেন। তার ধারণাগুলির অর্থায়ন ও বিপণনের জন্য অংশীদারদের সহায়তায় টেসলা নিউইয়র্কে বিভিন্ন বৈদ্যুতিক এবং যান্ত্রিক ডিভাইস বিকাশের জন্য ল্যাবরেটরি স্থাপন করেছিলেন। ১৮৮৮ সালে ওয়েস্টিংহাউস ইলেক্ট্রিকের লাইসেন্সযুক্ত তার আবিষ্কার বিকল্প কারেন্ট (এসি) আনয়ন মোটর এবং সম্পর্কিত পলিফেজ এসি পেটেন্টগুলি তাকে প্রচুর পরিমাণে অর্থোপার্জন করতে সাহায্য করে এবং পলিফেস সিস্টেমের ভিত্তি হয়ে ওঠে যা শেষ পর্যন্ত সংস্থাটি বাজারজাত করে। নিজের নামে পেটেন্ট ও বাজারজাত করতে, টেসলা যান্ত্রিক অসিলেটর / জেনারেটর, বৈদ্যুতিক স্রাব নল এবং শুরুর দিকের এক্স-রে ইমেজিংয় নিয়ে একাধিক গবেষণা পরীক্ষা চালিয়েছিলেন। তিনি প্রথম ওয়্যারলেস নিয়ন্ত্রিত নৌকাও তৈরি করেছিলেন। টেসলা একজন উদ্ভাবক হিসাবে সুপরিচিতি পেয়েছিলেন এবং তার গবেষণাগারে তারকা এবং ধনী পৃষ্ঠপোষকদের কাছে তার আবিষ্কার প্রদর্শন করতেন এবং পাবলিক বক্তিতাগুলোতে প্রদর্শনীর জন্য খ্যাতি লাভ করেছিলেন। 1890 এর দশক জুড়ে, টেসলা তারহীন আলো এবং বিশ্বব্যাপী তারহীন বৈদ্যুতিক শক্তি বিতরনের ধারণা সম্ভব করতে নিউইয়র্ক এবং কলোরাডো স্প্রিংসে জুরে উচ্চ-ভোল্টেজ, উচ্চ-ফ্রিকোয়েন্সির বৈদ্যুতিক গবেষণা করেন। ১৮৯৩ সালে, তিনি তার ডিভাইসগুলির মাধ্যমে ওয়্যারলেস যোগাযোগের সম্ভাবনা সম্পর্কে ধারণা দিয়েছিলেন। টেসলা তার অসমাপ্ত ওয়্যারডেনক্লাইফ টাওয়ার প্রকল্পে, আন্তঃমহাদেশীয় ওয়্যারলেস যোগাযোগ এবং পাওয়ার ট্রান্সমিটারে তার চিন্তাগুলোকে বাস্তবে রুপান্তর করতে চেয়েছিলেন, তবে তার কাজ শেষ হবার আগেই প্রকল্পের তহবিল শেষ হয়ে যায়। ওয়ার্ডেনক্লাইফের পরে, টেসলা ১৯১০ এবং ১৯২০ এর দশকে বিভিন্ন আবিষ্কারের জন্য একাধিক পরীক্ষানিরীক্ষা করেন এবং বিভিন্ন মাত্রার সাফল্য পান। তার উপার্জিত অর্থের বেশিরভাগ গবেষণা কাজে ব্যয় করে, শেষজীবনে নিউইয়র্কের বিভিন্ন হোটেলে দিনযাপন করতেন তিনি এবং মরণোত্তর তার অনেক হোটেল বিল বকেয়া ছিল। ১৯৪৩ সালের জানুয়ারিতে তিনি নিউইয়র্ক সিটিতে মারা যান। মৃত্যুর পর টেসলার অনেক গবেষণা ১৯৬০ সালের আগ পর্যন্ত রহস্যময়ি থেকে যায়। ১৯৬০ সালে জেনারেল কনফারেন্স অন ওয়েট এন্ড মেসারস টেসলার সম্মানে চৌম্বকীয় প্রবাহের ঘনত্বের এসআই ইউনিটটির নামকরণ টেসলা করে। ১৯৯০ এর দশক থেকে টেসলার জনপ্রিয়তা পুনরায় বাড়তে থাকে। শুরুর জীবন নিকোলা টেসলা ১৮৫৬ সালের ১০ জুলাই স্মিলিয়ান (বর্তমান ক্রোয়েশিয়া) নামক একটি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা নাম মিলুতিন টেসলা(১৮১৯–১৮৭৯) পেশায় একজন ধর্মযাজক ছিলেন, আর মা ছিলেন ডুকা টেসলা (১৮২২-১৮৯২)। ডুকা টেসলার বাবা যিনি নিজেও ধর্মযাজক ছিলেন, বাসার জিনিসপত্র ও যন্ত্রপাতি বানাতে এবং সার্বিয়ান মহাকাব্য মুখস্ত রাখতে পারদর্শী ছিলেন। টেসলার মা ডুকা কোন প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা লাভ করেননি। তবে টেসলা মনে করেন, তিনি তার অসাধারণ স্মৃতিশক্তি তার মায়ের কাছ থেকে বংশগতভাবে ও তার মায়ের পরিচর্যা ও প্রভাবে পেয়েছেন। টেসলার পূর্বপুরুষরা ছিলেন পশ্চিম সাইবেরিয়ান, মন্তিনিগ্রর এলাকার। টেসলা তার বাবা মায়ের পাঁচ সন্তানের মধ্যে ৪র্থ। তার তিন বোন মিল্কা, আঞ্জেলিনা, মারিকা আর ভাই ডানে, যিনি এক ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতায় মারা যায় যখন টেসলার বয়স ৫ বছর। টেসলা ১৮৬১ সালে সিমিলজানে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যান, যেখানে তিনি জার্মান, গণিত আর ধর্ম শেখেন। ১৮৬২ সালে তার পরিবার গোসপিক এ যায়, যেখানে তার বাবা ধর্মযাজক হিসেবে কাজ করত। টেসলা তার প্রাথমিক শিক্ষা ও সাধারণ শিক্ষা শেষ করেন। ১৮৭০ সালে তিনি উত্তরের কারলোভাকে যান উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি হতে। সেখানে জার্মান ভাষায় শিক্ষা দেয়া হতো। টেসলা পরবর্তীতে জানান তিনি একজন পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপকের দারা তড়িৎ প্রদর্শনীতে আগ্রহী হয়ে ওঠেন। টেসলা বলেন, এসব রহস্যময় ঘটনাগুলোর প্রদর্শনীই তাকে বিদুৎ এর মত এই অসাধারন শক্তি সম্পর্কে জানতে আগ্রহী করে তুলেছিল। টেসলা মনেমনে ক্যালকুলাসের যেসব সমাধান করতে পারতেন, তা দেখে তার শিক্ষকদের মনে সন্দেহ আর বিশ্বয় সৃষ্টি করেছিল। ১৮৭৩ সালে তিনি তার ৪ বছরের বিদ্যালয় মাত্র ৩ বছরে শেষ করেন। ১৮৭৪ সালে তিনি অস্ট্রিয়-হাঙ্গেরির সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। তিনি শিকারি পর্বত অন্বেষণ করেন। তিনি বলতেন, প্রকৃতি তাকে মানসিক এবং শারীরিকভাবে শক্তিশালী করেছে। তিনি টোমিনগাজ এ থাকাকালীন অনেক বই পড়েন। পরে তিনি বলেন যে, মার্ক টোয়েন এরসাথে কাজ করায় তার প্রাথমিক অসুস্থতা দূর হয়েছিলো। ১৮৭৫ সালে নিকোলা টেসলা অস্ট্রিয়ার গারাজে সেনাবাহিনীর একটি বৃত্তি লাভ করেন।তিনি প্রথম বছর কোন ক্লাস বাদ দেননি এবং সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে ৯ টি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। তিনি সাইবেরিয়ান একটি সংস্কৃতি ক্লাব এ যোগদান করেন। তার বিজ্ঞান বিভাগের প্রধানের কাছ হতে তার বাবার কাছে একটি চিঠি যায়। সেখানে লিখা ছিল, আপনার ছেলে মেধাতালিকায় প্রথম। টেসলা বলেন যে, তিনি রবিবার এবং ছুটির দিন ছাড়া অন্য সব দিন ভোর ৩ টা হতে রাত ১১ টা পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন। তিনি তার বাবার কাছ থেকে কঠোর পরিশ্রম করার অনুপ্রেরণা পেতেন। ১৮৭৯ সালে তার বাবার মৃত্যুর পর তার প্রফেসার এর কাছ থেকে তার বাবার চিঠি পান। সেখানে লিখা ছিল অতিরিক্ত পরিশ্রম করলে টেসলা মারা যেতে পারে। যদি টেসলা অতিরিক্ত পরিশ্রম করে তবে তাকে যেন বিদ্যালয় থেকে বের করে দেয়া হয়। সেই সময় ২য় বর্ষে থাকাকালীন তিনি তার শিক্ষক গ্রামে ডাইনামো দারা প্রভাবিত হন। তিনি ২য় বর্ষের পর তার বৃত্তি হারান কারণ তিনি জুয়া খেলায় আসক্ত হয়ে পড়েন। ৩য় বর্ষে তিনি ভর্তি, সুবিধাসহ সকল সুবিধা হারান।এরপর তিনি সব ছেড়ে তার পরিবার এর কাছে ফিরে যান। তিনি বলেছিলেন, তার আবেগ আগে ও পরে সব সমান ছিল।পরবর্তীতে তিনি আমারিকাতে বিলিয়ার্ড খেলায় বেশ সুনাম অর্জন করেন। যখন পরীক্ষা চলে আসে তখন তিনি পরীক্ষার জন্য তৈরি ছিলেন না। তিনি পড়ালেখা করতে অস্বীকার করেন। তিনি তার বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের শেষ বর্ষে কোন নম্বর পাননি। ১৮৭৮ সালে তিনি তার পরিবারের সাথে সব কিছু গোপন রেখে বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে দেন। এরপর তিনি মারিবর চলে যান। যেখানে তিনি মাসে মাত্র ৬০ ফ্লরিন এর জন্য কাজ করতে থাকেন। তিনি তার সময় রাস্তার মানুষের সাথে কার্ড খেলে পার করতেন। ১৮৭৯ সালে তার বাবা মালটিন মারিবর যান তাকে বাসায় নিয়ে আসার জন্য কিন্তু তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন। সেই তিনি রোগে ভুগছিলেন।১৮৭৯ সালের ২৪ জানুয়ারি তিনি গোসপিক ফিরে আসেন। ১৮৭৯ সালের ১৭ এপ্রিল তার বাবা মারা যান। তখন তিনি গোসপিক বিশ্ববিদ্যালয় এর সবচাইতে বয়স্ক ছাত্র। ১৮৮০ সালে তিনি তার দুই চাচার কাছ থেকে টাকা নিয়ে গোসপিক ত্যাগ করে প্রাগে আসেন পড়ালেখা করার জন্য কিন্তু তিনি অনেক দেরি করে ফেলেন। তিনি কখনও গ্রিক ভাষা শিখেননি এবং চেক ভাষাও জানতেন না। তাই এসব বিষয়ে তিনি বিশ্ববিদ্যালয় হতে কোন নম্বর পান নি। ১৮৮১ সালে টেসলা বুদাপেস্ট এর একটি কোম্পানিতে কাজ শুরু করেন।তিনি বুঝতে পারেন যে তার এই কোম্পানি নির্মাণাধীন, তাই তিনি কঠোর পরিশ্রম করতে থাকেন। কয়েক মাসের মধ্যেই তার কোম্পানি বুদাপেস্ট এর অন্যতম কোম্পানিতে পরিণত হন এবং তিনি ছিলেন তার প্রধান ইলেক্ট্রিশিয়ান। তিনি সেখানে চাকরি করার সময় কোম্পানির যে উন্নতি হয় তা পরবর্তীতে আর কেউ করতে পারে নি। এডিসন এর সাথে কাজ ১৮৮২ সালে ফ্রান্সে তিনি এডিসন এর কোম্পানিতে কাজ শুরু করেন। ১৮৮৪ সালে তিনি এডিসনের নিউইয়র্কের কোম্পানিতে যন্ত্রের কাজে আসেন। তিনি তার প্রাথমিক জীবন তড়িৎ প্রকৌশল হিসাবে শুরু করেন এবং দ্রুত অনেক কঠিন সমস্যার সমাধান করেন। এডিসন এর কোম্পানি থেকে তাকে সরাসরি তড়িৎ জেনারেটর এর ডিজাইন বানানোর প্রস্তাব দেয়া হয়। ১৮৮৫ সালে তিনি দাবি করেন যে তিনি এডিসন এর কোম্পানির অপর্যাপ্ত মোটর, জেনারেটর এর ডিজাইন করে উন্নত করতে পারবেন যা আর্থিক এবং ব্যবসায়িক উভয় দিক থেকে লাভবান হবে। এডিসন তখন তাকে বলেন যে, যদি তুমি তা করতে পার তাহলে ৫০,০০০ ডলার দেব তোমাকে। তিনি তার কাজ শেষ করেন এবং তার টাকা চান। কিন্তু এডিসন তার জবাবে বলেন যে, তিনি মজা করেছিলেন আর টেসলা আমেরিকার রসিকতা বুঝতে পারে নি।পরবর্তীতে, এডিসন টেসলার জন্য সপ্তাহে ১০ ডলার থেকে ১৮ ডলার করে বেতন বাড়ানোর প্রস্তাব করেন। কিন্তু টেসলা তা প্রত্যাখ্যান করেন এবং পদত্যাগ করেন। মধ্যবর্তী জীবন টেসলা এডিসন এর কোম্পানি ছাড়ার পর ১৮৮৬ সালে দুজন ব্যবসায়ির সাথে যোগ দেন। তারা হলেন রবার্ট লেন এবং বেঞ্জামিন ডালে। যারা তার তড়িৎ বাল্ব ও কারখানার জন্য আর্থিক সাহায্য করতে সম্মত হয়। আলোর ব্যবহার এর ডিজাইন এর উপর ভিত্তি করে নিকোলা টেসলা প্রথম তড়িৎ বাতি তৈরি করেন এবং তিনি ডাইনামিক যন্ত্রের ডিজাইন করেছিলেন যা ছিল আমেরিকার প্রথম ডিজাইন। কিন্তু বিনিয়োগকারীরা নিকোলা টেসলার নতুন ধরনের মোটর এবং বাতির প্রতি তেমন আগ্রহ দেখায় নি। তারা মনে করেছিল যে, তড়িৎ উন্নয়নের চাইতে অন্য কিছু উন্নত করলে ভাল হবে। তারা টেসলাকে টাকা-পয়সা ছাড়াই কোম্পানি থেকে বের করে দিতে চান। টেসলা তার প্রায় সকল ক্ষমতাই হারাতে থাকেন কোম্পানি থেকে। এমন কি তড়িৎ মেরামত এর কাজ মাত্র ২ ডলার এর বিনিময়ে করেন। ১৮৮৬-৮৭ সালের শীতের সময় টেসলা মাথা এবং চোখ এর সমস্যার জন্য অনেক দিন অসুস্থ ছিলেন। এসি এবং আবেশ মোটর ১৮৮৬ সালের শেষের দিকে টেসলা ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন এর নিয়ন্ত্রক আলফ্রেড ব্রাউন এবং নিউইয়র্কের এটর্নি চার্লস এফ পিক এর সাথে যোগাযোগ করেন। তাদের দুইজনের কোম্পানি চালানোর অভিজ্ঞতা ছিল এবং আর্থিক সাহায্য করার জন্য তৈরি ছিল। তারা টেসলার কথা শুনে তাকে সাহায্য করতে সম্মত হয়। ১৮৮৭ সালে তারা টেসলার কোম্পানির সাথে একটি চুক্তি করেন। সে অনুযায়ী, ১/৩ অংশ হবে টেসলার, ১/৩ অংশ হবে পিক এবং ব্রাউনের এবং ১/৩ অংশ হবে প্রকল্প উন্নয়নের। তারা একটি গবেষণাগার তৈরি করেন টেসলার জন্য ৮৯ লিফটি রোড, মান্থানে। সেখানে তিনি নতুন ধরনের মোটর জেনারেটর এবং যন্ত্রপাতি উন্নয়নের কাজ করতেন। ১৮৮৭ সালে একটি জিনিসের বেশ উন্নয়ন করেন তা হল তড়িৎ আবেশ মোটর। যা পর্যায়ক্রমিক তড়িৎ এর সাহায্যে দ্রুত চলে। তিনি শক্তির একটি নিয়মে ইউরোপ এবং আমেরিকাতে শুরু করেছিলেন যা বিশাল দূরত্বে ভোল্টেজ এর ট্রান্সমিশন এর জন্য উপকারী ছিল। মোটরে অনেকগুলো তড়িৎ পর্যায় ছিল যা মোটর ঘোরার সময় একটি বৃত্তাকার চুম্বক ক্ষেত্রের তৈরি করতে পারে। আর তাই তড়িৎ মোটরে ১৮৮৮ সালে একটা নতুন ডিজাইন দেয়া হয় যেখানে তড়িৎ প্রবাহের যন্ত্রের প্রয়োজন হয় না এবং উচ্চ বিস্ফোরণ-রোধক ক্ষমতা সম্পন্ন যান্ত্রিক বাল্ব এর প্রতিস্থাপন করা হয়। ১৮৮৮ সালে টেসলার পর্যায়ক্রমিক তড়িৎ মোটর এবং আবেশ মোটর এর ঘটনা ইলেকট্রিক ওয়ার্ল্ড ম্যাগাজিনে প্রকাশ করা হয়। ওয়াশিংটন হাউজ এর তড়িৎ প্রকৌশলীরা জর্জ ওয়াশিংটনকে বলেন যে, টেসলা যে এসি মোটর ও শক্তি ব্যবহার করেন তা ওয়াশিংটন হাউজ এর জন্য প্রয়োজনীয়। ওয়াশিংটন হাউজ তখন ১৮৮৮ সালে ইতালির পদার্থবিদ গেলিলিও এর সাথে তার সাদৃশ্য দেখেন কিন্তু সিদ্ধান্ত নেয়া হয় যে বাজার নিয়ন্ত্রণ করবে টেসলার। ১৮৮৮ সালে ব্রাউন এবং পিক জর্জ ওয়াশিংটন এর কাছ থেকে টেসলার তড়িৎ মোটর এর পর্যায়ক্রমিক তড়িৎ এর ডিজাইন এর জন্য নগদ ৬০০০০ ডলার এবং প্রতি এসি হর্স শক্তির জন্য আড়াই ডলার চুক্তি করে সমঝোতা করেন। ওয়াশিংটন ১ বছরের জন্য লোনে ২০০০ ডলার (বর্তমানে ৫২,৫০০ ডলার)খরচে প্রতিমাসে তড়িৎ কারখানায় নিয়ে আসেন। সেই বছর টেসলা পিটার্সবার্গে কাজ করেন এবং রাস্তায় গাড়ির শক্তি ব্যবহার করে পর্যায়ক্রমিক তড়িৎ তৈরি করেন। তিনি ওয়াশিংটন হাউজের অন্যান্য প্রকৌশলীদের মধ্যে সবচাইতে শক্তিশালী পর্যায়ক্রমিক তড়িৎ উদ্ভাবন করেন।সেখানে তিনি প্রস্তাব দেন যে, তারা সেখানে ৬০ চক্রে তড়িৎ দিতে পারেন কিন্তু তা রাস্তার গাড়িতে কাজ করবে না।তারা এসি মোটরের ব্যবহার বাড়িয়ে ডিসি মোটরের ব্যবহার কমায়। তড়িৎ যুদ্ধ টেসলার পর্যায়ক্রমিক তড়িৎ এর উপর কাজকে অনেকে তড়িৎ যুদ্ধ বলে। যা মূলত টমাস এডিসন এবং জর্জ ওয়াশিংটন এর মধ্যে চলত। টেসলার বিশেষ পদ্ধতির মাধ্যমে ওয়াশিংটন হাউজের অনেক উন্নতি হয় এবং ওয়াশিংটন হাউজের এসি মোটর তৈরি হয় এডিসন এর ডিসি মোটরের সাথে সাথেই। ১৮৯৩ সালে জর্জ ওয়াশিংটন হাউজ, শিকাগোতে ওয়ার্ল্ড কলম্বিয়ান প্রতিযোগিতায় এসি মোটরের কারণে জয়ী হন। তার প্রতিপক্ষ এডিসন এর ডিসি মোটরকে তিনি পরাজিত করেন সেই ওয়ার্ল্ড ফেয়ারে। এটা ছিল পর্যায়ক্রমিক তড়িৎ শক্তির সূচনার ইতিহাস। যা ওয়াশিংটন হাউজ নিরাপদে এবং শান্তভাবে আমেরিকান জনগণ এর মাঝে এনেছিলেন। এই কলম্বিয়ান প্রদর্শনীতে টেসলা ইউরোপ এবং আমেরিকার তড়িৎ এর পার্থক্য তুলে ধরেন। তিনি উচ্চ ভোল্টেজে, উচ্চ স্পন্দন এবং পরযায়ক্রমিক তড়িৎ এর তারবিহীন বাতি প্রদর্শন করেন। টিনের পাত দিয়ে দুটি কঠিন রাবারের প্লেটের ঘরের মধ্যে স্থাপিত করা হয়। এটার দূরত্ব ছিল প্রায়ই ১৫ ফুট এবং ট্রান্সফরমার থেকে তারের মাধ্যমে টার্মিনালে তড়িৎ প্রবাহ ছিল। যখন তড়িৎ প্রবাহ শুরু হত, টিউব বাতি যেগুলো তারের সাথে সরাসরি যুক্ত ছিল না কিন্তু পর্যায়ক্রমে এর মাঝে ছিল সেগুলো জ্বলে উঠত। এটি টেসলার ২ বছর আগে লন্ডনে করা পরীক্ষার মতন ছিল। সেখানে তারা এর ফলাফল দেখে আশ্চর্য হয়েছিল। টেসলা চুম্বক ক্ষেত্রের ঘূর্ণনের নীতি ব্যাখ্যা করেন এবং কীভাবে কপার এগ কাজ করে আবেশ মোটর দ্বারা তার ব্যাখ্যা দেন। এই যন্ত্রটি কলম্বাস এগ নামে পরিচিত ছিল। ১৮৯২ সালে এডিসন এর কোম্পানি শক্তিশালী হতে থাকে জে পি মরগানকে দ্বারা এবং এর ফলে ওয়াশিংটন হাউজের সাথে নতুন করে আরেকটি যুদ্ধের সৃষ্টি হয়। ১৮৯৬ সাল পর্যন্ত এটি মাত্র এই দুটি কোম্পানির মধ্যে ছিল কিন্তু এর পর থেকে ওয়াশিংটন হাউজ টাকার যুদ্ধ শুরু করেন। তখন নিরাপত্তার জন্য ওয়াশিংটন হাউজ টেসলাকে তার এসি মোটর প্রকল্প দেখিয়ে ব্যাংক থেকে ঋণ নেয়ার জন্য চাপ দিতে থাকে। কিন্তু টেসলা বলেন যে এভাবে চলতে থাকে তিনি ওয়াশিংটন হাউজ এর নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না। ওয়াশিংটন হাউজ টেসলাকে ২,১৬,০০০ ডলারের বিনিময়ে পর্যায়ক্রমিক তড়িৎ প্রকল্পের সাথে অনুমতির পরিবর্তন করতে চান। এতে করে পর্যায়ক্রমিক তড়িৎ জনপ্রিয়তা অনেক বাড়তে থাকে। প্রতি হর্স পাওয়ার এর জন্য আড়াই ডলার ঘোষণা করা হয়। আমেরিকার নাগরিকত্ব ১৮৯১ সালের ৩০ জুলাই, ৩৫ বছর বয়সে টেসলা আমেরিকার নাগরিকত্ব লাভ করেন। তিনি দক্ষিণের ৫ম এভেনিউতে একটি গবেষণাগার তৈরি করেন এবং পরে ৪৬ই হাউজটন রোড,নিউইয়র্কে।তিনি তারবিহীন শক্তিশালী ট্রান্সমিশন বসান এবং তারের মাধ্যমে উভয় জায়গাতে বাতি বসান। একই বছর তিনি টেসলা কয়েল উদ্ভাবন করেন। তিনি আমেরিকান ইনস্টিটিউট অফ ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর সহকারী প্রধান হন(১৮৯২-১৮৯৪) পর্যন্ত। যা আধুনিক (আই ইইই) ইনস্টিটিউট অব রেডিও ইঞ্জিনিয়ারস নামে পরিচিত। এক্স- রে পরীক্ষা এই পরীক্ষা শুরু হয়েছিল ১৮৯৪ সাল থেকে। তিনি তার গবেষণাগারে পূর্ববর্তী নষ্ট ফিল্ম এর মধ্যে দেখেন এবং সেখানে তিনি অনুসন্ধানের মাধ্যমে প্রদীপ্ত রশ্মি দেখতে পান। (পরে তা রঞ্জন রশ্মি বা এক্সরে রশ্মি নামে ) পরিচিত হয়। তার প্রাথমিক পরীক্ষাগুলো ছিল ক্রুক এর টিউব এবং ঠাণ্ডা ক্যাথোডের বিচ্ছিন্ন তড়িৎ এর সাথে। কিছুদিনের মধ্যেই টেসলার সকল গবেষণা, মডেল, ডাটা ছবিসহ ৫০,০০০ ডলারের জিনিস ৫ম এভেনিউর গবেষণাগার থেকে হারিয়ে যায়। ১৮৯৫ সালের মার্চে দ্যা নিউইয়র্ক টাইমে নিকোলা টেসলা বলেন যে, আমি খুব দুঃখিত। আমি কি করতে পারি। তিনি মার্ক টোয়েন এর সাথে টিউব নিয়ে কাজ করার সময় একই বছরের ডিসেম্বর মাসে এক্সরের ছবি তুলেন। ক্যামেরার লেন্সের একমাত্র জিনিস যা বুঝা গিয়েছিল তা হল স্ক্রু। ১৮৯৬ সালের মার্চ মাসে উইলহম রন্তেজন এক্সরে এবং এক্সরের ছবি আবিষ্কার করেন। টেসলা গবেষণা এক্সরে, এক্সরের ছবি এবং উচ্চ শক্তি নিয়ে করতে থাকেন। তিনি নিজে এর ডিজাইন করেন যার আউটপুট হিসাব টেসলা কয়েল। তার গবেষণাতে তিনি এক্সরে রশ্মি, বর্তনী তৈরি করেন এবং তার যন্ত্রপাতি দ্বারা রন্তেজেনের চাইতে শক্তিশালী এক্সরে রশ্মি এবং ছবি বানান। টেসলা একসাথে এক্সরে রশ্মি, বর্তনী নিয়ে কাজ করার সময় একটি বিপদজনক জিনিস লক্ষ্য করেন। তিনি তার প্রথম যেসব অজানা পরীক্ষা করেছিলেন, তিনি চামড়ার ক্ষতি হবার কথা বলেছিলেন। তিনি বিশ্বাস করতেন চামড়ার ক্ষতি এক্সরে রশ্মির জন্য নয়, কিন্তু ওজন চামড়ার উপর প্রভাব ফেলে এবং নাইট্রাস এসিড ক্ষুদ্র প্রভাব ফেলে। টেসলা ভুলবশত বিশ্বাস করেছিল যে, রঞ্জন রশ্মি অনুদৈর্ঘ্য রশ্মি। যদিও সেটা ছিল প্লাসমা দৈর্ঘ্য। এই প্লাসমা দৈর্ঘ্য চুম্বকীয় ক্ষেত্রের মধ্যে ঘটে থাকে। ১৯৩৪ সালের ১১ জুলাই নিউইয়র্ক হিরালড টারবাইন এ টেসলার একটি অনুচ্ছেদ প্রকাশ করা হয়। সেখানে তিনি পুনরায় বলেন যে, পরীক্ষা যখন একটি মাত্র শূন্য ইলেক্ট্রোড এর মধ্যে হয়, তখন একটি অংশ ক্যাথোডে ভেঙে যেতে পারে, টিউবকে অতিক্রম করতে পারে এবং ভৌতভাবে আঘাত করতে পারে। তিনি অনুভব করেন যে, এটি দেহের মধ্যে দিয়ে যেভাবে প্রবেশ করে ঠিক সেই পথ দিয়েই বের হতে পারে। এটিকে তড়িৎ বন্দুক বলে। এটি ধাতব কামড় নামেও পরিচিত।এই কণাগুলোর বল একসাথে ভ্রমণ করবে। রেডিও রেডিও তরঙ্গ দ্বারা সংক্রমন এর সম্ভাবনা বিষয়ক টেসলার তত্ত্ব নিয়ে ১৮৯৩ সালে সেন্ট লুইসে,মিসরিতে ফ্রাঙ্কলিন ইনস্টিটিউট এ আলোচনা করা হয়। টেসলার গবেষণা এবং নীতি অনেক কিছুই সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। রেডিওর উন্নতিতে ব্যবহা্রকৃত অনেক যন্ত্রপাতি যেমন টেসলা কয়েল ব্যবহার করা হয়। ১৮৯৬ সালে রেডিওর তরঙ্গের পরীক্ষা করা হয়েছিল গালবার হোটেলে যেখানে তিনি থাকতেন। ১৮৯৮ সালে তিনি একটি রেডিও নিয়ন্ত্রণকারী নৌকা তৈরি করেন যা টেলিযোগাযোগের কাজে লাগে এবং এটি মাদিসন স্কয়ারে গার্ডেন তড়িৎ প্রদর্শনীতে করা হয়। তিনি এর কাযকারিতা ব্যাখ্যা করেন যা একধরনের যাদু এবং একটি প্রশিক্ষিত বানর দারা নিয়ন্ত্রিত ছিল। টেসলা তার রেডিও সম্পর্কিত সকল মতবাদ, চিন্তাভাবনা আমেরিকান সেনাবাহিনীর কাছে বিক্রি করতে চেয়েছিল কিন্তু আমেরিকান সেনাবাহিনী সেখানে কোন আগ্রহ দেখায় নি। প্রথম বিশযুদ্ধ পর্যন্ত রেডিও বেশ প্রয়োজনীয় যন্ত্র ছিল এবং পরে তা অনেক দেশের সেনাবাহিনীতে ব্যবহার করা হয়। ১৮৮৯ সালের ১৩ মে টেসলা যখন শিকাগোতে ভ্রমণ করছিলেন তখন তিনি একটি বাণিজ্যিক ক্লাবকে স্বয়ংক্রিয় টেলিযোগাযোগ এর সুবিধা দেখিয়েছিলেন। ১৯০০ সালে তিনি ট্রান্সমিটিং তড়িৎশক্তি এবং তড়িৎ ট্রান্সমিটার এর অনুমোদন লাভ করেন। যখন মার্কনি ১৯০১ সালে প্রথম রেডিও সম্প্রচার করে। তিনি দাবি করেন এটি তার সহযোগিতায় করা হয়েছে। এটি ছিল রেডিও আবিষ্কারের মুহূর্তে বিভিন্ন ধারণা এবং বিজ্ঞানীদের মধ্যে যুদ্ধে। ১৯৪৩ সালে আদালত রায় দেয় যে, মার্কনির যুক্তি গ্রহণযোগ্য এবং সব ধারণা একই ছিল না। কলোরাডো স্প্রিং ১৮৯৯ সালের ১৭ মে টেসলা কলোরাডোতে চলে আসেন সেখানে তিনি উচ্চ ভোল্টেজ ও উচ্চ স্পন্দন এর পরিক্ষা করেন।তার গবেষণার ছিল ফুতাডে এবং কিওলার কাছে।তিনি এই জায়গাটি পছন্দ করেছিলেন কারণ সেখানে পর্যায়ক্রমিক তড়িৎ শক্তির বণ্টনের ধাপগুলোর কাজ করা সহজ ছিল এবং সেখানে কাজের জন্য অতিরিক্ত কোন টাকা দিতে হত না।তিনি সাংবাদিকদের বলেন, তিনি তারবিহীন টেলিযোগাযোগ এর পরীক্ষা করছেন যার সংকেত প্যারিসের পিকের চূড়া থেকে সংগ্রহ করা হয়। ১৮৯৯ সালের ১৫ জুনে তিনি কলোরাডো স্প্রিং এর পরীক্ষা শুরু করেন।তিনি প্রাথমিক আগুনের স্ফুলিঙ্গ ৫ ইঞ্চি পরিমাপ করেন এবং এটি খুব পুরু , গোলমালপূর্ণ শব্দ ছিল। টেসলা বায়ুমণ্ডলীয় তড়িৎ এর অনুসন্ধান করেন। তার গ্রাহক যন্ত্রের মাধ্যমে তিনি আলোর সংকেত পর্যবেক্ষণ করেন।তিনি স্থির তরঙ্গও প্রথম লক্ষ্য করেন।বিশাল দূরত্ব এবং প্রকৃতিতে আলোর ঝলকানি দেখে টেসলা বলেন যে, পৃথিবীর প্রতিধ্বনি স্পন্দন রয়েছে।তিনি কৃএিম বজ্রপাত তৈরি করেছিলেন (চার্জবিহীন এবং মিলিয়ন ভোল্ট,১৩৫ ফুট উপরে)।তাই বজ্রপাতের শব্দ ১৫ মাইল দূরে ক্রিপল কিক কলোরাডোতে ও শোনা যায়।মানুষ রাস্তায় হাটার সময় আগুনের স্ফুলিঙ্গ দেখেছিল। এই স্ফুলিঙ্গ যখন পানির পাইপে প্রবেশ করেছিল তখন থেকে কিছু কমে যেতে থাকে।সুইচ বন্ধ করার পরেও সেখানকার বাতিগুলো জ্বলছিল।মানুষ তাদের ধাতুর জুতার মধ্যে শক পাওয়ার পায় এবং স্থিতিশীল হয়ে পরে।সেখানকার প্রজাপতিগুলোর মধ্যেও তড়িৎ প্রবাহ শুরু হয় এবং পাখায় আগুন ধরে যায়।পরিখা চলাকালীন তিনি কিছু ভুল করেন যার ফলে বিদ্যুৎ বিভ্রাট হয়।১৯১৭ সালের অগাস্ট মাসে তিনিএর কারণ ব্যাখ্যা করেন। তিনি বলেন যে,সেখানে ১০০ কিলোওয়াট শক্তির উচ্চ স্পন্দন তৈরি হয় যার ফলে ৬ মাইল দূরে একটি বাসায় আগুন ধরে যায়।এর ফলে আর উচ্চ স্পন্দন এর সৃষ্টি হয় তড়িৎ উৎপাদন করে এবং চারিদিকে ছড়িয়ে পরে। তিনি তার গবেষণাগারে কাজ করার সময় মাঝে মাঝে শব্দ পেতেন যা তিনি ধারণা করতেন অন্ন কোন গ্রহ থেকে আসছে। ১৮৯৯ সালে তিনি এসব উল্লেখ করে একটি চিঠি জুলিয়ান হাওতনের কাছে পাঠান।১৯০০ সালের ডিসেম্বর মাসে তিনি আরও একটি গবেষণার তথ্য নিয়ে একটি চিঠি রেড ক্রস সোসাইটিতে পাঠান।তিনি উল্লেখ করেন যে, তিনি শব্দ শুনতে পেয়েছিলেন।সাংবাদিকগণ তার কথা শুনে বলেছিল যে,এটি মঙ্গল গ্রহ থেকে আসতে পারে।১৯০১ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি কলিকার সাপ্তাহিক অনুছেদ টকিং উইথ প্ল্যানেট এ তিনি বলেন যে, তিনি ধিরে শান্তভাবে একটি শব্দ পেয়েছেন যা মঙ্গল,বুধ অথবা ভেনাস থেকে আসতে পারে। এরপর সবাই একটি সিধান্তে আসে যে, ১৮৯৯ সালে মার্কনি ইউরোপীয় গবেষণায় (এস-------)কিছু শব্দ পেয়েছিল যা কলোরাডো গবেষণার তারহীন মাধ্যমে আবারও পাওয়া যায়।১৮৯৯ সালে জন জেকব এস্তর এই পরীক্ষার উন্নতি এবং উদ্ভাবনের জন্য তাকে ১০০০,০০০ ডলার দেন।তিনি সব টাকা এই প্রকল্পে ব্যবহার করেন।১৯০০ সালের ৭ জানুয়ারি তিনি কলোরাডো স্প্রিং গবেষণা বাদ দেন। ১৯০৪ সালে তার গবেষণাগার নষ্ট হয়ে যায় এবং ২ বছর পর বিক্রি করে দেয়া হয়।তিনি কলোরাডো স্প্রিং তৈরি করেছিলেন তারবিহীন টেলিযোগাযোগ মাধ্যমে যা ওয়েরডেন ক্লিফ নামে পরিচিত। ওয়েরডেন ক্লিফ ১৯০০ সালে ১৫০,০০০( বর্তমানে ৪২৫২,২০০ ডলার) ডলার (৫১ ভাগ মরগান হতে) নিয়ে তিনি তার ওয়েরডেন ক্লিফ প্রকল্পের কাজ শুরু করেন। তিনি পরে মরগানকে আরও টাকা দেবার জন্য বলেন যাতে সেখানে আরও শক্তিশালী ট্রান্সমিটার ব্যবহার করা যায়।যখন তাকে জিজ্ঞাসা করা হয় এত টাকা কথায় গেল জবাবে তিনি বলেন ১৯০১ সালে তিনি অনেক ঝামেলার শিকার হন যার কারণ ছিল মরগান। মরগান তার কথা শুনে অবাক হন এবং শেয়ার বাজার ধ্বংসের কথা শূনে বিস্মিত হন।তখন তিনি পুনরায় প্রকল্প শুরু করার জন্য মরগানের কাছ থেকে টাকা চান কিন্তু যা ছিল ফলহীন। ১৯০১ সালে মার্কনি সফলভাবে এস অক্ষরটি ইংল্যান্ড হতে নিউ ফাউন্ডেশন এ প্রেরণ করেন যাতে করে তার সাথে মরগানের সম্পর্ক প্রায় শেষ হয়ে যায়। পরবর্তী ৫ বছর তিনি ৫০ এর অধিক চিঠি মরগানকে পাঠান এবং ওয়েরডেন ক্লিফ প্রকল্পের কাজ শুরু করার জন্য সাহায্য চান।তিনি নিজেই প্রথম ৯মাস কাজ চালিয়ে যান ।এই ভবনটি ছিল খাড়া ১৮৭ ফিট (৫৭ মিটার)।১৯০৩ সালের জুলাই মাসে তিনি পুনরায় মরগান এর কাছে চিঠি লিখেন যে তারবিহীন যোগাযোগ মাধ্যমের কাজ করতে হলে ওয়েরডেন ক্লিফ প্রকল্পের কাজ করতে হবে।১৯০৪ সালের ১৪ অক্টোবর মরগান অবশেষে তাকে উত্তর দেন। মরগানের চিঠিতে লিখা ছিল, আমার পক্ষে এসব করা অসম্ভব।পরে আবারও টাকার জন্য তিনি মরগানকে চিঠি লিখেন। ১৯০২ সালে তিনি তার গবেষণাগার হাউজটন থেকে ওয়েরডেন ক্লিফ এ নিয়ে আসেন।১৯০৬ সালের ৫০তম জন্মবার্ষিকীতে তিনি তার ২০০ হর্স পাওয়ার (১৫০ কিলোওয়াট )১৬০০০ রেম্প ধারবিহিন টারবাইন (১০০-৫০০০ এইচ পি)ক্ষমতার ইঞ্জিন পরীক্ষা করেন। তিনি স্টিম ইঞ্জিন শক্তির যান্ত্রিক দোলক তৈরি করেন।যা টেসলার দোলক নামে পরিচিত।হাউজটন গবেষণাগারে কাজ করার সময় তিনি যান্ত্রিক দোলক তৈরি করেন।যত বেশি গতি বৃদ্ধি পায়,তা যান্ত্রিক দোলকের স্পন্দনের সেই অনুনাদ এর জন্য ক্ষতি হয়।তিনি হাতুরি বিশেষ টারবাইনের ব্যবহারর চেষ্টা করেন কিন্তু এর মধ্যে পুলিশ এসে যায়।১৯১২ সালের ফেব্রুয়ারিতে নিকোলা টেসলা ড্রিম নামে ওয়ার্ল্ড টুডে পত্রিকায় এলান বেন্সন একটি অনুছেদ প্রকাশ করেন। সেখানে বেন্সন তার সম্পর্কে দেখান যে, নিকোলা টেসলা দাবি করে যে তিনি পৃথিবীর কঠিন স্তরের স্পন্দন বের করতে পারবেন যা পৃথিবীর সভ্যতাকে ধ্বংস করে দিতে পারে।এই প্রকিয়া নিয়মিত করলে হয়ত পৃথিবীকে দুই ভাগে ভাগ করা যাবে। টেসলার তড়িৎ তত্ত্ব যা মস্তিস্কের উন্নয়নের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে।১৯১২ সালে তিনি দেখান যে,তড়িৎ এর অসাবধানতার জন্য একজন মেধাবী ছাত্র নিস্তেজ হয়ে যায়। তিনি বলেন কোন বিদ্যালয়ের দেয়ালের তার এবং উচ্চ তড়িৎ এর তরঙ্গ একসাথে তড়িৎ এর ক্ষেত্রে পরিনত হবে।এটি নিউইয়র্কের সেই বিদ্যালয়ের শিক্ষক উইলিয়াম মাক্সয়েল দারা প্রমাণিত হয়। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ হবার পূর্বে তিনি বিদেশী বিনিয়োগকারীদের সাহায্য চেয়েছিলেন।যুদ্ধ শুরু হবার পর যেসব ইউরোপিয়ান দেশগুলো থেকে সাহায্য পেতেন তা বন্ধ হয়ে যায়।এমনকি তিনি তার ওয়েরডেন ক্লিফ বিক্রি করে দেন ২০,০০০ ডলার (বর্তমানে ৪৭০,৯০০ ডলার)।১৯১৭ সালে ওয়েরডেন ক্লিফ ধ্বংস করা হয়েছিল।কারণ গুরুত্বপূর্ণ রিয়েলস্টেটের ব্যবসার জন্য।তিনি তখন এ আই ইই থেকে সর্বোচ্চ সম্মান এডিসন পদক গ্রহণ করেন। ১৯১৭ সালের অগাস্ট মাসে ইলেকট্রিক এক্সপেরিমেন্ট ম্যাগাজিনে প্রকাশিত হয় যে,তড়িৎ সাব মেরিনে তড়িৎ রশ্মি স্পন্দন হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে।তিনি তার ধারণা কিছুটা ভুল করেছিলেন। উচ্চ স্পন্দন এর রেডিও দৈর্ঘ্য হবে পানির মধ্যে দিয়ে।কিন্তু এমিলে গিরাও যিনি প্রথম ১৯৩০ সালে ফ্রান্সের রাডার এর নিয়ম উন্নত করেন সেই গিরাও ১৯৫৩ সালে বলেন যে টেসলার সাধারণ কল্পনা যা ছিল তা খুব উচ্চ স্পন্দন এর সংকেতের জন্য দরকার ছিল।যা ছিল টেসলার সপ্ন এবং যা টেসলা শেষ পর্যন্ত চালিয়ে যান কিন্তু যদিও সেটা সপ্ন তবুও কিছুটা সত্য হয়। নোবেল প্রাইজের গুজব ১৯১৫ সালের ৬-ই নভেম্বর রয়টার্স খবর সংস্থা লন্ডন থেকে খবর দেয় যে, ১৯১৫ সালের পদার্থবিদ্যায় নোবেল পুরস্কার পাবেন থমাস এডিসন এবং নিকোলা টেসলা। তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:১৮৫৬-এ জন্ম বিষয়শ্রেণী:১৯৪৩-এ মৃত্যু বিষয়শ্রেণী:মার্কিন পদার্থবিজ্ঞানী বিষয়শ্রেণী:মার্কিন তড়িৎ প্রকৌশলী বিষয়শ্রেণী:আইইইই এডিসন পদক বিজয়ী বিষয়শ্রেণী:ইলিয়ট ক্রেসন মেডেল বিজয়ী বিষয়শ্রেণী:ম্যানহাটনের ব্যক্তি বিষয়শ্রেণী:ইনস্টিটিউট অব ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ার্সের সভ্য
নিকোলা টেসলা
পুনর্নির্দেশ ১৪ নভেম্বর
১৪ই নভেম্বর
টমাস স্টেয়ার্ন্‌স এলিয়ট, ওএম (; জন্ম: ২৬শে সেপ্টেম্বর, ১৮৮৮ সালে সেন্ট লুইস, আমেরিকা – মৃত্যু: ৪ঠা জানুয়ারি, ১৯৬৫ ইংল্যান্ড) ইংরেজি ভাষার একজন , কবি, নাট্যকার সাহিত্য সমালোচক এবং এবং বিংশ শতকের অন্যতম প্রতিভাশালী কবি। তিনি ১৮৮৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের মিশৌরির সেন্ট লুইসে জন্মগ্রহণ করেন। তবে মাত্র ২৫ বছর বয়সে ১৯১৪ সালে ইংল্যান্ডে চলে যান এবং ১৯২৭ সালে ৩৯ বছর বয়সে ব্রিটিশ নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন। তিনি আর কখনো আমেরিকা ফিরে যান নি। এজরা পাউন্ড ছিলেন টমাস স্টেয়ার্ন্‌স এলিয়ট এর ঘনিষ্ঠ বন্ধু ।ইলিয়ট ১৯১৫ সালের দিকে তার কবিতা দি লাভ সং অফ জে আলফ্রেড প্রুফ্রক এর মাধ্যমে সবার নজর কাড়েন। এই কবিতার পরে তার ঝুলি থেকে একে একে বের হয় বিশ্ববিখ্যাত সব কবিতা। এদের মধ্যে দি ওয়েস্ট ল্যান্ড (১৯২২) , দি হলো মেন (১৯২৫) , অ্যাশ ওয়েন্সডে (১৯৩০) এবং ফোর কোয়ার্টার্স (১৯৪৫) অন্যতম। তার নাটকগুলোর মধ্যে অন্যতম ছিল মার্ডার ইন দ্যা ক্যাথেড্রাল (১৯৩৫)। আধুনিক সাহিত্যে অভূতপূর্ব অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ ১৯৪৮ সালে তার বিখ্যাত কবিতা "The Waste Land" জন্য তিনি সাহিত্যে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হন। “দ্যা ওয়েস্ট ল্যান্ড” কবিতায় তিনি "Indian Literature & Philosophy" এর অনুপ্রবেশ ঘটিয়েছেন। তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ T. S. Eliot Society (UK) Resource Hub T. S. Eliot Hypertext Project What the Thunder Said: T. S. Eliot T. S. Eliot at Faber and Faber T. S. Eliot Society (US) Home Page বিষয়শ্রেণী:মার্কিন কবি বিষয়শ্রেণী:ব্রিটিশ কবি বিষয়শ্রেণী:১৮৮৮-এ জন্ম বিষয়শ্রেণী:১৯৬৫-এ মৃত্যু বিষয়শ্রেণী:নোবেল বিজয়ী সাহিত্যিক বিষয়শ্রেণী:ব্রিটিশ নোবেল বিজয়ী বিষয়শ্রেণী:অর্ডার অব মেরিট গ্রহণকারী বিষয়শ্রেণী:হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী বিষয়শ্রেণী:লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী বিষয়শ্রেণী:২০শ শতাব্দীর প্রাবন্ধিক বিষয়শ্রেণী:মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন নাগরিক
টি এস এলিয়ট
পুনর্নির্দেশ লিখন পদ্ধতিসমূহের তালিকা
বর্ণমালার তালিকা
মানমন্দির (Observatory) পৃথিবী ও মহাশূণ্য পর্যবেক্ষণ এবং পরিমাপ গ্রহণের জন্য বিশেষভাবে তৈরি অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতিসমৃদ্ধ গবেষণাগার। জ্যোতির্বিজ্ঞান, জ্যোতিষ শাস্ত্র, জলবায়ুবিজ্ঞান, ভূতত্ত্ব ইত্যাদি বিষয়ের গবেষণার জন্যই সাধারণত মানমন্দির স্থাপন করা হয়ে থাকে। পৃথিবীর প্রাচীনতম মানমন্দিরসমূহ আবু সিম্বেল, মিশর স্টোনহেঞ্জ, গ্রেট বৃটেন অ্যাংকর ওয়াট, কম্বোডিয়া কোকিনো, মেসিডোনিয়া গোসেক, জার্মানি আরও দেখুন জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক মানমন্দির জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক মানমন্দিরসমূহের তালিকা বিষয়শ্রেণী:মানমন্দির
মানমন্দির
thumb '''অলিম্পাস মনস আমাদের সৌরজগতের বৃহত্তম সক্রিয় আগ্নেয়গিরি t এটি মাউন্ট এভারেস্টের চেয়েও প্রায় তিনগুণ বেশি। অবস্থান: আগ্নেয়গিরিটি থারিসিস বাল্জের উত্তর-পশ্চিম প্রান্তে প্রায় 18.65 এন এবং 226.2 ই-তে মঙ্গল গ্রহের পশ্চিম গোলার্ধে অবস্থিত। আগ্নেয়গিরির পশ্চিম অংশটি আমায় রয়েছে জোনিস চতুর্ভুজ এবং থারিসিস চতুর্ভুজটির মধ্য এবং পূর্ব অংশ। মাত্রা: অলিম্পাস মনস এর শীর্ষটি মঙ্গল গ্রহের সর্বোচ্চ পয়েন্ট। একটি পরিমাপ দ্বারা, এর উচ্চতা প্রায় 22 কিমি (13.6 মাইল বা 72,000 ফুট) has অলিম্পাস মনস সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে মাউন্ট এভারেস্টের উচ্চতার চেয়ে প্রায় আড়াই গুণ লম্বা এবং বর্তমানে সৌরজগতে আবিষ্কৃত বৃহত্তম আগ্নেয়গিরি। দ্রষ্টব্য: অলিম্পাস মনসের উচ্চতা পৃথিবীর লম্বা পাহাড়ের সাথে তুলনা করে। 600০০ কিলোমিটার (৩ mi০ মাইল) ব্যাসে অলিম্পাস মনস এর পায়ের ছাপ ফ্রান্সের আকারের সাথে তুলনীয় জমির একটি অঞ্চল জুড়ে। দ্রষ্টব্য: ফ্রান্সের দেশের তুলনায় অলিম্পাস মনস। এটি মঙ্গল গ্রহের বৃহত্তম আগ্নেয়গিরিগুলির মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ এবং প্রাচীন লাভা প্রবাহের কিছু প্রমাণ 115 মিলিয়ন বছর বয়সী থেকে 2000 মিলিয়ন বছর বয়সী বয়সের সীমা নির্দেশ করে। মঙ্গল গ্রহের অন্যান্য ভূতত্ত্বের তুলনায় এটি তুলনামূলকভাবে সাম্প্রতিক। গঠন: অন্তর্নিহিত বেডরোকটি coveringেকে সূক্ষ্ম ধুলায় বেশিরভাগ অঞ্চলকে অস্পষ্ট করা হয়েছে তবে অলিম্পাস মনস সম্ভবত মঙ্গলের বেশিরভাগ অন্ধকার অঞ্চলে একই রকম রচনা করেছেন যা আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত দ্বারা গঠিত হয়েছিল। অলিম্পাস মনস সহ মঙ্গল গ্রহের পৃষ্ঠটি পৃথিবীর মহাসাগরীয় ভূত্বকের সমান প্রকারের (থোলোইটস) বেসাল্ট। এটি মার্টিয়ান উল্কা থেকে নেওয়া সাধারণ সিদ্ধান্ত, রোবোটিক অবতরণের জায়গাগুলিতে মাটি এবং শিলার বিশ্লেষণ এবং মহাকাশযানের প্রদক্ষিণের সাথে সংগৃহীত তথ্য। [২] [3] এই সংমিশ্রণ নিয়ে গঠিত লাভা প্রবাহে স্বল্প স্নিগ্ধতা থাকবে যা একটি জলের প্রবাহ উত্পাদন করে যা একটি সাধারণ ieldাল আগ্নেয়গিরি তৈরি করে। অলিম্পাস মনস একটি খুব ধীরে ধীরে opeালু গড় গড়ে গড়ে 5% [[4] এটি অলিম্পাস মনসকে লম্বা তবে খুব মৃদু আরোহণ হবে। আরও দেখুন মঙ্গলের পর্বতসমূহের তালিকা বিষয়শ্রেণী:মঙ্গলের আগ্নেয়গিরি বিষয়শ্রেণী:মঙ্গল গ্রহ
অলিম্পাস মন্‌স্‌
জুলু কান্টোমভেলা জুলু গোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান। তিনি ১৭০৯ সালে জুলুদের সংগঠিত করে জুলু রাজত্ব কায়েম করেন। তার বাবার নাম উনটোমভেলা কামালান্ডেলা। জুলু ভাষঅয় জুলু শব্দের অর্থ স্বর্গ বা আকাশ। বাবা উনটোমভেলার মৃত্যুর পর তার বড় ছেলে কোয়াবে উক্ত রাজত্বের প্রধান হিসেবে নিজেকে দাবী করে এবং তার ছোট ছেলে জুলু এবং তার মা নজিঞ্জাকে গৃহছাড়া করে। বিষয়শ্রেণী:জুলু fr:Chefs des Zoulous avant 1816
জুলু কান্টোমভেলা
ফরাসি বিপ্লব () (১৭৮৯–১৭৯৯) ফরাসি, ইউরোপ এবং পশ্চিমা সভ্যতার ইতিহাসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। এই বিপ্লবের সময় ফ্রান্সে নিরঙ্কুশ রাজতন্ত্র বিলুপ্ত হয়ে প্রজাতান্ত্রিক আদর্শের অগ্রযাত্রা শুরু হয় এবং একই সাথে দেশের রোমান ক্যাথলিক চার্চ সকল গোঁড়ামী ত্যাগ করে নিজেকে পুনর্গঠন করতে বাধ্য হয়। ফরাসি বিপ্লবকে পশ্চিমা গণতন্ত্রের ইতিহাসে একটি জটিল সন্ধিক্ষণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয় যার মাধ্যমে পশ্চিমা সভ্যতা নিরঙ্কুশ রাজনীতি এবং অভিজাততন্ত্র থেকে নাগরিকত্বের যুগে পদার্পণ করে। ঐতিহাসিকরা এই বিপ্লবকে মানব ইতিহাসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হিসাবে বিবেচনা করেন। ফরাসি বিপ্লবের মূলনীতি ছিল "Liberté, égalité, fraternité, ou la mort!" অর্থাৎ "স্বাধীনতা, সমতা, ভ্রাতৃত্ব, অথবা মৃত্যু"। এই শ্লোগানটিই বিপ্লবের চালিকাশক্তিতে পরিণত হয়েছিলো যার মাধ্যমে সামরিক এবং অহিংস উভয়বিধ পদ্ধতি অনুসরণের মাধ্যমে পশ্চিমা বিশ্বে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়। এই শ্লোগানটি তখন সকল কর্মীর প্রাণের কথায় পরিণত হয়েছিলো। কারণসমূহ ইতিহাসবিদরা বিপ্লবের দিকে যাওয়ার ক্ষেত্রে পূর্ববর্তী সময়ের অনেক ঘটনা ও কারণের প্রতি ইঙ্গিত করেছেন। সামাজিক ও অর্থনৈতিক বৈষম্যের বৃদ্ধি আলোকায়ন থেকে উদ্ভূত নতুন রাজনৈতিক ধারণা, অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনা, পরিবেশগত কারণগুলি কৃষির ব্যর্থতার দিকে পরিচালিত করে, নিয়ন্ত্রণহীন জাতীয় ঋণ, রাজা ষষ্ঠদশ লুইয়ের পক্ষ থেকে এবং রাজনৈতিক অব্যবস্থাপনা সবই কিছুকেই বিপ্লবের ভিত্তিপ্রস্তর হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ফরাসি বিপ্লবের রাজনৈতিক এবং আর্থসামাজিক বৈপ্লবিক প্রকৃতিকে ইতিহাসবিদরা একটি ধারণায় এনে বিশ্লেষণ করেন: বিপ্লবপূর্ব সরকারের প্রাচীন অভিজাত নীতি ও আইনসমূহ একটি উদীয়মান বুর্জোয়াতন্ত্রের উচ্চাভিলাষের খোরাক যোগাতে শুরু করে যা আলোকসম্পাতের দ্বারা ছিলো ব্যাপকভাবে আক্রান্ত। এই বুর্জোয়ারা শহরের বিশেষত প্যারিস এবং লিওনের চাকুরিজীবী এবং অত্যাচারিত চাষী শ্রেণীর সাথে মিত্রতা সৃষ্টি করে। আরেকটি ধারণা অনুসারে অনেক বুর্জোয়া এবং অভিজাত মহল রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংস্কারের চেষ্টা করতে থাকে যা পরবর্তীতে চাকুরিজীবী শ্রেণীর আন্দোলনগুলোর সাথে একাত্ম হয়ে যায়। এর সাথে এক হয় প্রাদেশিক চাষীদের আন্দোলন। এই ধারণা অনুসারে তাদের মধ্যে কোন মেলবন্ধন কেবল ঘটরাক্রমে হয়েছে, তা পরিকল্পিত ছিলোনা। যে ধারণাকেই ধরা হোক না কেন, অ্যানসিয়েন সরকারের কিছু সাধারণ বৈশিষ্ট্য ছিলো যা বিপ্লবের মূল হিসেবে পরিগণিক হতে পারে। একদিক দিয়ে সেগুলো ছিলো অর্থনৈতিক কারণ: নিম্নমানের অর্থনৈতিক অবস্থা এবং বল্গাহীন জাতীয় ঋণ। এর মূল কারণ ছিল অসম করারোপণ যার বোঝা মোটেই বহনযোগ্য ছিলনা, সম্রাট লুই ১৬-এর অত্যধিক খরচ এবং অষ্টাদশ শতাব্দীর বিভিন্ন যুদ্ধসমূহ। বেকারত্বের উচ্চহার এবং খাদ্যদ্রব্যের উচ্চমূল্য। বিপ্লবের ঠিক আগের মাসগুলোতে বিরাজমান খাদ্য সংকট। অপর দিকে এর পিছেন কিছু সামাজিক এবং রাজনৈতিক কারণ ছিল। আলোকিত সমাজ এই কারণগুলোকে কেন্দ্র করেই তাদের আন্দোলন শুরু করে যারা ছিল আলোকসম্পাতের যুগ দ্বারা প্রভাবিত। এই কারণগুলো হল: নিরঙ্কুশ রাজতন্ত্রের পুনঃস্থাপন যা রাজত্বের পক্ষে ছিল ক্ষতিকর। সমাজের একটি বিশেষ পেশাদার শ্রেণি এবং উঁচুশ্রেণির লোকদের ব্যাপক সুবিধা দেয়া হচ্ছিলো যা জনসাধারণের জীবনকে নিজের প্রভাবাধীনে রাখতে শুরু করেছিলো। প্রচুর নারী নির্যাতন কৃষক, চাকুরিজীবী শ্রেণি এবং কিছু পরিমাণ বুর্জোয়া কর্তৃক জমিদারতন্ত্রের উচ্ছেদের পক্ষে আন্দোলন শুরু হয়। বিভিন্ন শ্রেণির কর্মচারীর মধ্যে সুযোগ-সুবিধার বৈষম্য, যাজকশ্রেণির ভোগ-বিলাস চরমে উঠে। অপরদিকে ধর্মীয় স্বাধীনতার পক্ষে একটি জোয়ার সৃষ্টি হয়। স্বাধীনতা এবং প্রজাতান্ত্রিক আদর্শের অনুপ্রেরণা। সবশেষে যে কারণ সম্বন্ধে বলতে হয় তা হল এই সমস্যাগুলোর যেকোনটির সমাধানে সম্রাট লুই ১৬-এরv চূড়ান্ত ব্যর্থতা। রাজকীয় অর্থ সংকট ফ্রান্সের সম্রাট লুই ১৬ (রাজত্বকাল:১৭৭৪ - ১৭৯২) যখন রাজকীয় অর্থের সংকটে পড়েন তখনই বৈপ্লবিক সংকটকাল শুরু হয়। অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখলে বলতে হয় ফরাসি রাজের শোধক্ষমতা (solvency) ছিল ফরাসি রাষ্ট্রের শোধক্ষমতার সমমানের। ফরাসি রাজ বিপুল পরিমাণ ঋণের ফাঁদে পড়েছিলো যা তদানীন্তন অর্থ সংকটের সৃষ্টি করে। লুই ১৫ (রাজত্বকাল:১৭১৫ - ১৭৭৪) এবং লুই ১৬-এর শাসনকালে মূলত অর্থ বিভাগের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীদের সিদ্ধান্ত রাজকীয় অর্থ ব্যবস্থাপনার জন্য গৃহীত হয়েছিলো। মন্ত্রীদের মধ্যে মূল হিসেবে বলা যায় Baron de Laune Anne Robert Jacques Turgot (অর্থ বিভাগের মহানিয়ন্ত্রক:১৭৭৪ - ১৭৭৬) এবং জ্যাক নেকারের (অর্থ বিভাগের মহানিয়ন্ত্রক:১৭৭৭ - ১৭৮১) নাম। তারা বারবার অর্থ সমস্যার সমাধানের জন্য ফরাসি করারোপণ পদ্ধতিকে ঢেলে সাজানোর প্রস্তাব করেন যা কোন সফলতার মুখ দেখেনি। আর এ ধরনের উদ্যোগ সংসদ থেকে ব্যাপক বিরোধিতার সম্মুখীন হয়। সংসদ তখন ছিলো Robe Nobility-দের করায়ত্তে যারা নিজেদেরকে জাতির অভিভাবক জ্ঞান করতেন। এর ফলশ্রুতিতে দুজন মন্ত্রীই পদচ্যুত হন। চার্লস আলেকজান্ডার দ্য ক্যালোঁ, যিনি ১৭৮৩ সালে অর্থ বিভাগের মহানিয়ন্ত্রকের দায়িত্ব পান, বিশিষ্ট ব্যয়সমূহের জন্য একটি নতুন নীতিমালা হাতে নেন যার মাধ্যমে তিনি রাষ্ট্রের প্রধান ঋণদাতাদের বুঝানোর চেষ্টা চালান। ১৭৮৯-এর এস্টেট্‌স-জেনারেল এস্টেটস-জেনারেলকে তিনটি এস্টেটস-এ সংগঠিত করা হয়েছিল: পুরোহিত, অভিজাতবর্গ এবং বাকী ফ্রান্সের জনগণ। এটি সর্বশেষ ১৬১৪ সালে দেখা গিয়েছিল। ১৭৮৯ সালের বসন্তে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল; তৃতীয় এস্টেটের জন্য ভোটাধিকারের আবশ্যিক শর্ত ধরা হয়েছিল ২৫ বছর বা তার বেশি বয়সী ফরাসী-বংশোদ্ভূত বা প্রকৃতিকৃত পুরুষ হতে হবে, যারা ভোট গ্রহণের জায়গাটি বসবাস করবেন এবং যারা কর প্রদান করেন। রাজ্যসভা right|350px|thumb|জ্যাক-লুই ডেভিডের অঙ্কিত চিত্রে রাজ্যসভার টিনিস কোর্ট শপথ গ্রহণ। জুন ১০, ১৭৮৯ তারিখে Abbé Sieyès প্রস্তাব করে যে তৃতীয় এস্টেট তার নিজস্ব ক্ষমতাবলে এগুবে এবং অন্য দুইটি এস্টেটকে আমন্ত্রণ জানাবে, কিন্তু ইক্ত এস্টেটদ্বয় তৃতীয় এস্টেটের জন্য অপেক্ষা করবেনা। বাস্তিলের বিক্ষোভ ১৭৮৯ সালের ১৪ জুলাই ফ্রান্স রাজ্যের প্যারিস কুখ্যাত বাস্তিলে বিক্ষোভ (ফরাসি: Prise de la Bastille [pʁiz də la bastij]) হয়। এই বাস্তিল দুর্গের পতনের মধ্য দিয়ে ফরাসি বিপ্লব সংঘটিত হয়। এই বিপ্লব ছিল তদানীন্তন ফ্রান্সের শত শত বছর ধরে নির্যাতিত ও বঞ্চিত "থার্ড স্টেট" বা সাধারন মানুষের পুঞ্জীভূত ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ। এই বিপ্লবের আগে সমগ্র ফ্রান্সের ৯৫ শতাংশ সম্পত্তির মালিক ছিল মাত্র ৫ ভাগ মানুষ। অথচ সেই ৫ ভাগ মানুষই কোন আয়কর দিত না। যারা আয়কর দিত তারা তেমন কোন সুবিধা ভোগ করতে পারত না। এবং এই ব্যবস্থার বিরুদ্ধে যারা প্রতিবাদ করত তাদেরকে এই বাস্তিল দুর্গে বন্দী করে নির্যাতন করা হত। বাস্তিল দুর্গ ছিল স্বৈরাচারী সরকারের নির্যাতন ও জুলুমের প্রতীক। একবার কোন বন্দী সেখানে প্রবেশ করলে জীবন নিয়ে আর ফিরে আসার সম্ভাবনা থাকত না । কারাগারের ভিতরেই মেরে ফেলা হত অসংখ্য বন্দীদের। ১৭৮৯ সালের ১৪ জুলাই নির্বাচিত প্রতিনিধি, রক্ষী বাহিনির সদস্য এবং বাস্তিল দুর্গের আশেপাশের বিক্ষুব্ধ মানুষ বাস্তিল দুর্গ অভিমুখে রওনা হয়। রক্তক্ষয় এড়াতে প্রতিনিধিরা দুর্গের প্রধান দ্য লোনের কাছে আলোচনার প্রস্তাব দেন। প্রস্তাব ছিল বাস্তিলে ৭ জন রাজবন্দীকে মুক্তি দেয়া। দ্য লোন সেই প্রস্তাবে রাজি না হওয়াতে বিক্ষুব্ধ জনতার ঢেউ বাস্তিল দুর্গে ঝাঁপিয়ে পরে। দুর্গের সৈন্যরাও ভিতর থেকে কামান দাগাতে থাকে। প্রায় দুইশো বিপ্লবী মানুষ হতাহত হয় । এরপর চারিদিক থেকে উত্তেজিত বিক্ষুব্ধ জনতা বাস্তিল দুর্গ ধ্বংস করে। জয় হয় সাম্য, মৈত্রী এবং স্বাধীনতার। এই ঘটনাটি ফ্রান্সের জাতীয় উৎসব বলে পালন করা হয়।right|350px|thumb|বাস্তিল বিক্ষোভ, জুলাই ১৪, ১৭৮৯ ‘নাগরিক গার্ড’ রাজতন্ত্রের অহংকার বাস্তিল দুর্গ পতনে কার্যকরী ভুমিকা রেখেছিল। বিশেষ করে ১৭৮৯ সালের ১১ জুলাই জনপ্রিয় মন্ত্রী নেকারকে পদচ্যুত করা হলে তৃতীয় সম্প্রদায় ‘নাগরিক গার্ড’ নামক একটি সামরিক বাহিনী গঠন করে। ১৭৮৯ সালের ১৪ জুলাই বিদ্রোহীরা অস্ত্রাগার লুটের সময় বাস্তিল দুর্গের দিকে নজর দেয়। এ দুর্গটি ছিল ঐতিহ্যগতভাবে ফ্রান্সের রাজতন্ত্রের প্রতীক। এ দুর্গে রাজবন্দী এবং বিপুলসংখ্যক রাজকীয় সৈন্য অবস্থান করত। কয়েক ঘণ্টা সংঘর্ষের পর বিকালে বিদ্রোহীরা এ দুর্গ ধ্বংস করতে সক্ষম হয়। এ যেন পুরো রাজতন্ত্রের পতনের সাক্ষী। এ সময় দুই পক্ষের সংঘর্ষে ৯৮ জন বিদ্রোহী এবং ৮ জন রাজকীয় সিপাহি নিহত হন। আধুনিক ফ্রান্সের জনগণ এ দিনটিকে প্রতি বছর জাতীয় দিবস হিসেবে পালন করে। জাতীয় সভার আহ্বান ও বুর্জোয়াদের সাফল্যে প্যারিস ভার্সাইয়ের জনতার মধ্যে প্রভূত উল্লাস দেখা যায়। তৃতীয় সম্প্রদায়ের দাবি মেনে নিলেও ষোড়শ লুই খুশি ছিলেন না। আন্দোলন দমনের জন্য তিনি প্যারিস ও ভার্সাইয়ে সৈন্য মোতায়েন করেন। ২২ শে জুন তিনি জনপ্রিয় অর্থমন্ত্রী নেকারকে পদচ্যুত করলে গণ অসন্তোষের ঘৃতাহুতি পড়ে। খাদ্যের দাবিতে হাজার হাজার নিরন্ন মানুষ গ্রাম থেকে প্যারিসে এসে সর্বহারা মানুষদের সঙ্গে যোগ দেয়। খাদ্যের দাবিতে প্যারিস উত্তাল হয়ে ওঠে। রাস্তায় রাস্তায় ব্যারিকেড গড়ে ওঠে --অস্ত্রের সন্ধানে লুণ্ঠিত হয় ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসমূহ। দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব ফরাসী বিপ্লব ইউরোপ এবং নতুন বিশ্বের উপর একটি বড় প্রভাব ফেলেছিল, মানব ইতিহাসের গতিপথ পরিবর্তনের নির্ণায়ক ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিল। এটি সামন্তবাদের অবসান ঘটায় এবং পৃথকভাবে সংজ্ঞায়িত ব্যক্তিগত মুক্তির ক্ষেত্রে ভবিষ্যতের অগ্রগতির পথ প্রশস্ত করেছিল। বিপ্লববাদ ও সমাজতন্ত্র প্রাচীন রোমের বিপ্লবী গ্রাকাসের নাম গ্রহণ করেছিলেন ফ্রঁসোয়া নোয়েল ব্যাবুফ। গ্রাকাস ব্যাবুফ, দার্থে, সিলভা মারেশাল ও আরো কয়েকজন একত্রে একটি ষড়যন্ত্রের পরিকল্পনা করেন যা ‘সমানপন্থিদের ষড়যন্ত্র' নামে পরিচিত হয়েছে। অবশ্য ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হয়েছিল। ব্যাবুফ দার্থে এবং আরো অনেকে পরের বছর এসব কারণে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছিলেন। ফরাসি বিপ্লবের মূল লক্ষ্য সমাজতন্ত্র ছিলো না যদিও সাম্যবাদ ও সমাজতন্ত্রের সূতিকাগার ছিলো সেটিই। ভোগের সাম্য এবং উৎপাদনের সাম্য, দুই ধরনের চিন্তাই ফরাসি বিপ্লবে দেখা যায়। জ্যাকবিনের কারণটি মার্কসবাদীরা উনিশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে গ্রহণ করেছিলেন এবং বিশ্বজুড়ে কমিউনিস্ট চিন্তার উপাদান হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন। সোভিয়েত ইউনিয়নে "গ্রাক্কাস" ব্যাবুফ নায়ক হিসাবে গণ্য করা হত। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ফরাসি বিপ্লব আমেরিকান রাজনীতিকে গভীরভাবে মেরুকৃত করেছিল এবং এই মেরুকরণের ফলে প্রথম পার্টি সিস্টেম তৈরি হয়েছিল। ১৭৯৩ সালে, ইউরোপে যুদ্ধ শুরু হওয়ার সাথে সাথে টমাস জেফারসনের নেতৃত্বে রিপাবলিকান পার্টি ফ্রান্সের পক্ষে অবস্থান নেয় এবং ১৭৭৮ সালে সম্পাদিত চুক্তিটি সম্পর্কে ইঙ্গিত করেছিলেন যে সেটি তখনও কার্যকর ছিল। জেফারসনসহ জর্জ ওয়াশিংটন এবং তার মন্ত্রিসভা সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যে এই চুক্তি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে যুদ্ধে প্রবেশের জন্য আবদ্ধ করে না। তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ বিষয়শ্রেণী:ফ্রান্স বিষয়শ্রেণী:ফরাসি বিপ্লব বিষয়শ্রেণী:১৮ শতকের বিদ্রোহ বিষয়শ্রেণী:ফ্রান্সের আধুনিক ইতিহাস
ফরাসি বিপ্লব
thumb|আর্যভট্টের ভাস্কর্যসমৃদ্ধ আইইউসিএএ - এর প্রাঙ্গণ ইন্টার-ইউরিভার্সিটি সেন্টার ফর অ্যাস্ট্রোনমি অ্যান্ড অ্যাস্ট্রোফিজিক্স (Inter-University Centre for Astronomy and Astrophysics - আইইউসিএএ) ভারতের বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত একটি স্বায়ত্তশাসিত জ্যোতির্বিজ্ঞান সংস্থা। ভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের মধ্যে পারমাণবিক প্রযুক্তির বিকাশ সাধন এবং জ্যোতির্বিজ্ঞান ও জ্যোতিঃপদার্থবিজ্ঞান বিষয়ে সক্রিয় চক্র গড়ে তোলার জন্য এই সংস্থার জন্ম হয়েছে। এটি ভারতের ন্যাশনাল সেন্টার ফর রেডিও অ্যাস্ট্রোফিজিক্স-এর পাশে অবস্থিত পুনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অঙ্গনে অবস্থিত। জ্যোতির্বিজ্ঞান ও জ্যোতিঃপদার্থবিজ্ঞানের ক্ষেত্রে শিক্ষকতা, গবেষণা এবং উন্নয়নে এই সংস্থাটি প্রভূত অবদান রাখতে সক্ষম হয়েছে। এর প্রতিষ্ঠার প্রথম দশকে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান ছিলেন জ্যোতিঃপদার্থবিজ্ঞানী ডঃ জয়ন্ত নারলিকার। বর্তমানে এর প্রধানের দায়িত্ব পালন করছেন ডঃ নরেশ দধীচ। এই সংস্থার প্রাঙ্গণে মহান ভারতীয় গণিতবিদ আর্যভট্টের একটি ভাস্কর্য আছে। বহিঃসংযোগ ইন্টার-ইউরিভার্সিটি সেন্টার ফর অ্যাস্ট্রোনমি অ্যান্ড অ্যাস্ট্রোফিজিক্স - দাপ্তরিক ওয়েবসাইট বিষয়শ্রেণী:ভারতের বিশ্ববিদ্যালয় বিষয়শ্রেণী:জ্যোতির্বিজ্ঞান সংস্থা
ইন্টার-ইউনিভার্সিটি সেন্টার ফর অ্যাস্ট্রোনমি অ্যান্ড অ্যাস্ট্রোফিজিক্স
পুনর্নির্দেশ বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি
শিল্পকলা একাডেমী
পুনর্নির্দেশ ইখতিয়ার উদ্দিন মুহাম্মাদ বিন বখতিয়ার খলজী
মুহাম্মদ বখ্‌তিয়ার খল্‌জী
কাঁদিদ বা ক্যানডিড (Candide) ফরাসি দার্শনিক ভলতেয়ারের অনন্য এক বিদ্রুপাত্মক রচনা। ১৭৫৯ সালে ভলতেয়ার ফরাসী ভাষায় Candide, ou l'Optimisme (; French: ) নামের একটি বিদ্রুপাত্মক রচনাটি প্রকাশ করেন। কনদিদ একটি ফিলোসোফিক বা দার্শনিক গল্প। ১৮ শতাব্দীর শুরুর দিকে সমসাময়িক দার্শনিকেরা সামাজিক অসংলগ্নতা, রাজা এবং চার্চের অত্যাচারের বিরুদ্ধে মত প্রকাশের জন্য বিভিন্ন প্রকার সাহিত্য শ্রেণীর আশ্রয় নিতেন, যেমন দার্শনিক গল্প, বিশ্বকোষ, চিঠি ইত্যাদি। কাহিনী সংক্ষেপ গল্পের নায়ক তনদিদ, শুরুতে তার আবাস বর্তমানে জার্মানির কোন এক প্রভাবশালি জমিদারের প্রাসাদে। জমিদারের আশ্রয় আর দার্শনিক শিক্ষকের সন্নিবেশে তার জীবন ভালোই কাটতে থাকে, সখ্যতা থেকে ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে উঠে জমিদারের মেয়ের সাথে। ভালোবাসার অপরাধে সে বিতাড়িত হয় প্রাসাদ থেকে, তার পর থেকে শুরু হয় তার নতুন জীবন, একের পর এক পরীক্ষার সম্মুখীন হয় সে। আস্তে আস্তে আবিষ্কার করে জীবন আর মানুষের চরিত্র। তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:ফরাসি উপন্যাস বিষয়শ্রেণী:দর্শন বিষয়ক উপন্যাস
কনদিদ
তুচ্ছ সত্য (বা, অনুল্লেখ্য সত্য, ইংলিশে, "Trivial Theorem") গণিতের পরিভাষায় এমন একটি উপপাদ্য যার প্রমাণ সরল, সহজবোধ্য এবং নাতিদীর্ঘ। গণিত পাঠ্যপুস্তকে যে সব দাবীর সত্যতা তাৎক্ষণিক যাচাই করা সম্ভব কিন্তু লেখক তার সম্পূর্ণ বর্ণনাকে অপ্রয়োজনীয় মনে করেন তাদের তুচ্ছ সত্য বলে উল্লেখ করা হয়। পাঠক অবশ্য, নিজস্বার্থে, প্রমাণটি চেষ্টা করে দেখতে পারেন, কারণ অনেক ক্ষেত্রেই এই "তুচ্ছ সত্য"গুলোর প্রমাণ গভীর মনোযোগের দাবী রাখে। কৌতুক গণিত সমাজে তুচ্ছ সত্য নিয়ে কৌতুক করা গণিত সংস্কৃতির একটি অংশ। শোনা যায়, কোন এক বিশ্লেষণ ক্লাসে শিক্ষক কোন একটি উপপাদ্য বর্ণনার সময় একটি অনুসিদ্ধান্তের সাহায্য নেন। একজন ছাত্র ঐ অনুসিদ্ধান্তের প্রমাণ জানতে চাইলে শিক্ষক জবাব দেন এটি একটি তুচ্ছ সত্য। তার পর চিন্তায় ডুবে যান। আধাঘণ্টা পরে, তার চিন্তা করা শেষ হলে, আনমনে বলে ওঠেন, "হুঁ, যা বলছিলাম, এটা একটা তুচ্ছ সত্য"। বিষয়শ্রেণী:গাণিতিক পরিভাষা
তুচ্ছ সত্য
দ্য দা ভিঞ্চি কোড (ইংরেজি ভাষায়: The Da Vinci Code) ২০০৬ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি মার্কিন চলচ্চিত্র। মার্কিন থ্রিলার উপন্যাস রচয়িতা ড্যান ব্রাউন রচিত দ্য দা ভিঞ্চি কোড উপন্যাসের উপর ভিত্তি করে নির্মিত এই চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেছেন রন হাওয়ার্ড। উপন্যাসটি ২০০৩ সালে প্রকাশিত হয়েছিল। ২০০৬ সালে কান চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনী রাতে এই ছবিটি প্রথম প্রদর্শিত হয়েছিল। প্রথমে যুক্তরাষ্ট্র মুক্তি পাওয়ার পর বিশ্বের অনেকগুরো দেশেই এটি মুক্তি পেয়েছে। বই এবং চলচ্চিত্র উভয়টিতে খ্রিস্টান ধর্ম এবং এর ইতিহাস নিয়ে অনেক বিতর্কিত তথ্য ও কথোপকথন থাকায় রোমান ক্যাথলিক চার্চ এর তীব্র সমালোচনা করেছে। অনেক বিশপ চার্চের সদস্যদের আহ্বান জানিয়েছেন চলচ্চিত্রটি বয়কট করার জন্য। প্রথম দিকে থিয়েটারে ছবিটি প্রদর্শিত হওয়ার সময় থিয়েটারের বাইরে প্রতিবাদমুখর জনতার ভিড় লেগেই থাকতো। কিন্তু মুক্তি পাওয়ার পর প্রথম সপ্তাহেই বিপুল দর্শকপ্রিয়তা লাভ করে এবং ২০০৬ সালে বিশ্বব্যাপী মুক্তিপ্রাপ্ত সকল চলচ্চিত্রের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অর্থোপার্জনে সক্ষম হয়। চলচ্চিত্রটি ২০০৭ সালে সেরা অরিজিনাল স্কোরের জন্য গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার এর মনোনয়ন লাভ করেছিল। অভিনয়ে টম হ্যাঙ্কস অদ্রে তোতুঁ আয়ান ম্যাককেলেন আলফ্রেড মলিনা জারগেন প্রকনো পল বেট্যানি জঁ রেনো জঁ-পিয়ের মারিলে তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ Official "secret" site বিষয়শ্রেণী:২০০৬-এর চলচ্চিত্র বিষয়শ্রেণী:২০০০-এর দশকের রহস্য চলচ্চিত্র বিষয়শ্রেণী:ড্যান ব্রাউন বিষয়শ্রেণী:মার্কিন চলচ্চিত্র বিষয়শ্রেণী:লন্ডনে ধারণকৃত চলচ্চিত্র বিষয়শ্রেণী:চলচ্চিত্র বিতর্ক বিষয়শ্রেণী:চলচ্চিত্রে অশ্লীলতা বিতর্ক বিষয়শ্রেণী:সেন্সরকৃত চলচ্চিত্র
দ্য দা ভিঞ্চি কোড (চলচ্চিত্র)
এই সমীকরণগুলো রাশিয়ান জ্যোতির্বিজ্ঞানী আলেক্সান্দ্র্‌ আলেক্সান্দ্রোভিচ ফ্রিদমান প্রবর্তন করেন। সূত্রগুলো হলো: where and are the density and pressure of the fluid, আরও সরল রূপ হলো: যা থেকে আমরা পাই: সংকট ঘনত্ব মহাবিশ্বের সম্প্রসারণ শেষমেশ থেমে গিয়ে, সংকোচন শুরু হওয়ার জন্য মহাজাগতিক ভর-ঘনত্বকে সর্বনিম্ন যে মানবিশিষ্ট হতে হবে তাকে সংকট ঘনত্ব (critical density) বলা হয়। মহাজাগতিক ভর-ঘনত্ব যদি সংকট ঘনত্বের চেয়ে বেশি হয় তাহলে মহাবিশ্ব স্থানিকভাবে(spatially) সসীম হবে। একে ρc দ্বারা সূচিত করা হয়। সংকট ঘনত্বের সমীকরণ ধরা যাক, R ব্যাসার্ধের একটি সুষম গোলকের মধ্যে রয়েছে অনেকগুলি ছায়াপথ। (হিসাবের সুবিধার্থে ধরে নিচ্ছি যে, যেকোন দুইটি ছায়াপথগুচ্ছের মধ্যকার দূরত্বের তুলনায় বড় হলেও মহাবিশ্বের সামগ্রিক আকৃতির তুলনায় R ক্ষুদ্রতর।) এই সুষম গোলকটির ভর(M) হবে এর আয়তন ও মহাজাগতিক ভর-ঘনত্ব(ρ) এর গুণফলের সমান: এই গোলকটির পৃষ্ঠদেশে অবস্থিত যেকোন ছায়াপথের বিভব শক্তি নিউটনের মহাকর্ষতত্ত্ব থেকে পাওয়া যায়: যেখানে, m হলো ছায়াপথটির ভর, এবং G হলো সার্বজনীন মহাকর্ষীয় ধ্রুবক হাবলের নীতি অনুসারে ছায়াপথটির দ্রুতি V হবে, যেখানে H হলো হাবলের ধ্রুবক। সুতরাং গোলকপৃষ্ঠে অবস্থিত ছায়াপথটির গতিশক্তি হবে, এখন ছায়াপথটির বিভব শক্তি এবং গতিশক্তির সমষ্টি নিলে পাওয়া যাবে এর মোট শক্তি, শক্তির নিত্যতার নীতি অনুযায়ী মহাবিশ্ব সম্প্রসারিত হলেও মোট শক্তি(E) এর মান সদা অপরিবর্তীত থাকবে। যদি E এর মান ঋণাত্মক হয়, তাহলে মহাবিশ্ব কখনোই অসীম পরিমাণে সম্প্রসারিত হতে পারবে না, কারণ অসীম দূরত্বে বিভবশক্তির মান নগণ্য হওয়ায় মোট শক্তির সিংহভাগ থাকে গতিশক্তি, যা কিনা সবসময়ই ধনাত্মক। অন্যদিকে, E এর মান ধনাত্মক হলে অসীম দূরত্বেও কিছু গতিশক্তি অবশিষ্ট থাকায় মহাবিশ্বের পক্ষে অসীম পরিমাণ সম্প্রসারণ সম্ভবপর হয়। সুতরাং, ছায়াপথটি কাঁটায় কাঁটায় মুক্তিবেগ প্রাপ্ত হওয়ার শর্ত হবে, = অন্যভাবে বলতে গেলে, এ অবস্থার জন্য ঘনত্বের মান হতে হবে, c = এটাই হলো সংকট ঘনত্বের সমীকরণ। (এখানে নিউটনীয় পদার্থবিদ্যা ব্যবহৃত হলেও মহাবিশ্বের অন্তর্গত বস্তুসমূহ দারুনরকম আপেক্ষিক হলে সেক্ষেত্রেও এই সমীকরণটি প্রযোজ্য হবে- কেবল কে মোট শক্তি-ঘনত্ব এবং c2 এর অনুপাত হিসেবে বিবেচনা করতে হবে।) উদাহরণস্বরপ, যদি H এর অধুনা জনপ্রিয় মান ১৫ কিলোমিটার প্রতি সেকেন্ড প্রতি মিলিয়ন আলোকবর্ষ(১ আলোকবর্ষ = ৯.৪৬ x ১০১২ কিলোমিটার) ব্যবহার করা হয় তবে: c = প্রতি গ্রামে নিউক্লীয় কণা আছে ৬.০২ X ১০২৩ টি। সুতরাং সংকট ঘনত্বের এই মান নির্দেশ করে যে, প্রতি ঘনসেন্টিমিটারে ২.৭ X ১০−৬ টি তথা প্রতি লিটারে ০.০০২৭ টি নিউক্লীয় কণা রয়েছে। বিষয়শ্রেণী:পদার্থবিজ্ঞান বিষয়শ্রেণী:ভৌত বিশ্বতত্ত্ব
ফ্রিদমান সমীকরণ
পুনর্নির্দেশ ফ্লেরোভিয়াম
ইউনানকোয়াড্রিয়াম
thumb|right|600px|১৮৬৯ সালের মেন্দলিভের পর্যায় সারনী right|thumb|350px|থিওডোর বেনফের পর্যায় সারণী (১৯৬৪)
বিকল্প পর্যায় সারণী
রমন লাম্বা (; ২ জানুয়ারি ১৯৬০ - ২৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৮) ছিলেন একজন ভারতীয় ক্রিকেট খেলোয়াড়। ঢাকার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের বিরুদ্ধে ও আবাহনী ক্রীড়া চক্রের পক্ষ নিয়ে ফিল্ডিংরত অবস্থায় মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হওয়ার ৩ দিন পর মৃত্যুবরণ করেন। আরও দেখুন ফিলিপ হিউজ ক্রিকেটে গুরুতর দুর্ঘটনার তালিকা তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:ভারতীয় ক্রিকেটার বিষয়শ্রেণী:১৯৬০-এ জন্ম বিষয়শ্রেণী:১৯৯৮-এ মৃত্যু বিষয়শ্রেণী:ভারতের টেস্ট ক্রিকেটার বিষয়শ্রেণী:ভারতের একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার বিষয়শ্রেণী:আয়ারল্যান্ডের ক্রিকেটার
রমন লাম্বা
সাপ্তাহিক ২০০০ বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় ধারার সাপ্তাহিক পত্রিকা। এটি ট্রান্সকম গ্রুপ কর্তৃক প্রকাশিত হত। এটি ম্যাগাজিন আকারে, অর্থাৎ ডাবলডিমাই ১/৪ আকারে মুদ্রিত হয়। পৃষ্ঠা সংখ্যা ৬৪। কথাসাহিত্যিক মইনুল আহসান সাবের এই পত্রিকাটির সম্পাদক হিসাবে নিয়োজিত ছিলেন। ইতিহাস সাপ্তাহিক ২০০০ ১৯৯৮ সালে চালু করা হয়। এর প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ছিলেন শাহাদাত চৌধুরী। ম্যাগাজিনটির প্রকাশক ছিলেন ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনাম। ১২ মার্চ ২০০৫ সালে,পত্রিকাটির চট্টগ্রাম সংবাদদাতা সুমি খান বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কাছ হুমকি পান। সুমির একটি নিবন্ধ এতে প্রকাশের পরে এই হুমকি পান, যাতে তিনি জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের সংসদ সদস্য শাহজাহান চৌধুরীকে সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করার অভিযোগে অভিযুক্ত করেছিলেন। ২০০৭ সালে ম্যাগাজিনটি দাউদ হায়দারের লেখা একটি আত্মজীবনীমূলক নিবন্ধ প্রকাশ করেছিল; লেখক দাউদ হায়দার ১৯৭৩ সালে ইসলামের সমালোচনা করার জন্য বাংলাদেশ থেকে নির্বাসিত। দাউদ হায়দারের লেখা প্রকাশের পর আল জামিয়া আল ইসলামিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ রেজা ম্যাগাজিনটি, ম্যাগাজিনের সম্পাদক গোলাম মর্তুজা এবং প্রকাশক মাহফুজ আনামের বিরুদ্ধে মামলা করেন। পরে বাংলাদেশ সরকার দাউদ হায়দারের লেখা প্রকাশিত হওয়ার সংখ্যাটি বাজেয়াপ্ত করে, এছাড়া ম্যাগাজিনের সম্পাদক প্রকাশ্যে ক্ষমা চান। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব আবদুল করিম ম্যাগাজিনটির নিবন্ধ প্রকাশের সমালোচনা করে। ২৯ অক্টোবর ২০১৪ সালে ম্যাগাজিনের সম্পাদক মঈনুল আহসান সাবের ঘোষণা দেন যে ৩১ অক্টোবরের পরে এই পত্রিকাটি বন্ধ করে দেওয়া হবে। লোকসানে কারণে প্রকাশক মাহফুজ আনাম এই পত্রিকাটি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তথ্যসূত্র বহি:সংযোগ সাপ্তাহিক ২০০০-এর তথ্যতীর্থ সাপ্তাহিক ২০০০ বিষয়ক তথ্যতীর্থ বিষয়শ্রেণী:ট্রান্সকম বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশের সাপ্তাহিক পত্রিকা বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশের বিলুপ্ত সংবাদপত্র বিষয়শ্রেণী:ঢাকায় প্রকাশিত সংবাদপত্র বিষয়শ্রেণী:বাংলা ভাষার সংবাদপত্র
সাপ্তাহিক ২০০০
দেবনাগরী লিপি (সংস্কৃত: देवनागरी, আ-ধ্ব-ব: [ˌd̪eːʋəˈnɑːɡəɾiː]) একটি ব্রাহ্মী পরিবারের আবুগিডা লিপি। দেবনাগরী লিপি উত্তর ভারতীয় ভাষায় যেমন সংস্কৃত, হিন্দি, মারাঠি, সিন্ধি, বিহারি, ভিলি, মারওয়াড়ি, কোংকণী, ভোজপুরি, নেপালি, নেপাল ভাষা ও মাঝেমাঝে কাশ্মিরি ও রোমানি ভাষায় ব্যবহৃত হয়। লিপিটা বাঁ-দিক থেকে ডান-দিকে পড়া হয়। তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ Unicode Chart for Devanagari Hindi/Devanagari Script Tutor Devnagari Unicode Legacy Font Converters বিষয়শ্রেণী:ব্রাহ্মী লিপি বিষয়শ্রেণী:হিন্দি বিষয়শ্রেণী:হিন্দুস্থানী লিখনবিধি বিষয়শ্রেণী:ভারতীয় লিপি বিষয়শ্রেণী:লিখন পদ্ধতি
দেবনাগরী লিপি
ফজলুল হক মুসলিম হল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম প্রাচীন আবাসিক হল। ইতিহাস ফজলুল হক মুসলিম হল ১৯৪০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং অবিভক্ত বাংলার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী একে ফজলুল হকের নামে এর নামকরণ করা হয়। ফজলুল হক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় প্রধান ভূমিকা পালন করেছিলেন। ১৬ জুন ১৯৭২ সালে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট হলের নাম থেকে "মুসলিম" শব্দটি সরিয়ে দেয়। এ সিদ্ধান্তকে আদালতে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন অ্যাডভোকেট শামসুল আলম। ২০০৪ সালের ১ মার্চ, বাংলাদেশ হাই কোর্ট বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে হলের নামে "মুসলিম" অন্তর্ভুক্ত করে মূল নামটি পুনঃস্থাপনের নির্দেশ দেয়। ভাষাবিদ ডাঃ মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হলের প্রথম প্রভোস্ট ছিলেন। প্রফেসর ডাঃ শাহ মোঃ মাসুম হলের বর্তমান প্রচারক। সু্যোগ - সুবিধা হলটি দুটি আবাসিক ভবন নিয়ে গঠিত: তিন তলা মূল ভবন পাঁচতলা দক্ষিণ ভবন হলটিতে বিভিন্ন বিষয়ের বই নিয়ে একটি পাঠাগার রয়েছে। গ্রন্থাগারটি অনাবাসিকসহ আবাসিক শিক্ষার্থীদের জন্য প্রতি কার্যদিবসে উন্মুক্ত থাকে। বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিল থেকে প্রতি শিক্ষাবর্ষে নতুন বই কেনা হয়। প্রতি বছর বার্ষিক খেলাধুলার আয়োজন করা হয়। ১৪ই ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবী দিবসে একমাত্র এই হলেই রাত ১২ ঘটিকায় পুরো হল জুড়ে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করে বুদ্ধিজীবীদের স্মরণ করা হয়। ফজলুল হক মুসলিম হল বিতর্ক ক্লাব বার্ষিক জাতীয় বিজ্ঞান বিতর্ক উৎসব আয়োজন করে। "একের রক্ত অন্যের জীবন,রক্তই হোক আত্নার বাঁধন"- এই স্লোগান কে লালন করে স্বেচ্ছায় রক্তদাতাদের সংগঠন 'বাঁধন' এর ইউনিট রয়েছে এই হলে। 'ফজলুল হক মুসলিম হল বাঁধন ইউনিট' কে বাঁধন সংগঠটির আতুরনিবাস বলা হয়। চিত্রশালা তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ ফজলুল হক মুসলিম হলের প্রাক্তন ছাত্র সমিতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট বিষয়শ্রেণী:ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল বিষয়শ্রেণী:ঢাকার ভবন ও স্থাপনা বিষয়শ্রেণী:১৯৪০-এ ভারতে প্রতিষ্ঠিত
ফজলুল হক মুসলিম হল
কোরা দ্বারা নিম্নের যেকোনটি বোঝানো যেতে পারে: কোরা (বাদ্যযন্ত্র), আফ্রিকায় প্রচলিত ২১-তারবিশিষ্ট এক ধরনের বাদ্যযন্ত্র। কোরা (তীর্থযাত্রা), বৌদ্ধ ধর্মানুসারীদের তীর্থযাত্রা। কোরা (গোষ্ঠী), ভারতের মধ্যভাগে বসবাসকারী বাঞ্জারাস উপজাতির অন্য নাম। কোরা (ব্যান্ড) নিউজিল্যান্ডের একটি রেগিয়া ব্যান্ড। কোরা পুরস্কার, আফ্রিকার সঙ্গীতের জন্য পুরস্কার কোরা, ইথিওপিয়া কোরা (ওয়েবসাইট), প্রশ্ন এবং উত্তর ওয়েবসাইট
কোরা
thumb|সজারু সজারু সমস্ত শরীরে কাঁটা যুক্ত রোডেন্সিয়া বর্গের স্তন্যপায়ী প্রাণী। এরা প্রাচীন পৃথিবীতে এবং বর্তমানেও বিলুপ্ত প্রায় প্রাণী হিসেবে বিবেচিত। প্রায় বেশির ভাগ সজারুই লম্বা লেজসহ লম্বায় হয়। এদের ওজন এর মধ্যে, যা গোলাকার, বড় এবং ধীরগতির প্রাণী। বেশির ভাগ সজারু বাদামী, ছাই রঙের হয় এবং কিছু আবার সাদা রঙেরও হয়। বিষয়শ্রেণী:স্তন্যপায়ী প্রাণী
সজারু
বিমূর্ত বীজগণিতের ভাষায় ফিল্ড একটি বীজগাণিতিক গঠন যাতে যোগ, বিয়োগ, গুণ এবং ভাগ (শুণ্য দিয়ে ভাগ করা ছাড়া) করা যায়। পাটিগণিতের প্রায় সব গুরুত্বপূর্ণ উপপাদ্য ফিল্ডের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। গণিতের যে শাখায় ফিল্ড নিয়ে গবেষণা করা হয় তাকে স্বাভাবিক কারণে ফিল্ড তত্ত্ব বলা হয়। সংজ্ঞা একটি ফীল্ড একটি সেট, যাতে এবং নামের দুইটি বাইনারি ফাংশন () সংজ্ঞায়িত, যেন: এবং উভয়েই সংযোজনযোগ্য: , যেখানে এবং উভয়েই বিনিময়যোগ্য , যেখানে ফাংশনটি এর উপর বিতরণযোগ্য , যেখানে এর জন্য অভেদকের অস্তিত্ব: -এ একটি সদস্য আছে যেন যে কোন এর জন্য হয় এর জন্য অভেদকের অস্তিত্ব: -এ একটি সদস্য আছে ( থেকে ভিন্ন) যেন যে কোন এর জন্য হয় এর জন্য বিপরীতকের অস্তিত্ব: যে কোন এর জন্য একটি আছে যেন হয় এর জন্য বিপরীতকের অস্তিত্ব: যে কোন , যেখানে , এর জন্য একটি আছে যেন হয় উদাহরণ বাস্তব সংখ্যাগুলি একটি ফীল্ড। জটিল সংখ্যাগুলিও একটি ফীল্ড। পূর্ণ সংখ্যাগুলি ফীল্ড নয়। কারণ এমন অনেক পূর্ণ সংখ্যা আছে যাদের এর জন্য বিপরীতক পূর্ণ সংখ্যা নয়। যেমন ৫ এর বিপরীতক হল ১/৫, যা পূর্ণ সংখ্যা নয়। অর্থাৎ পূর্ণ সংখ্যার সেটে ৫ এর কোন বিপরীতক নেই। মূলদ এবং বীজগাণিতিক সংখ্যাগুলি ফীল্ড। বিষয়শ্রেণী:বীজগণিত
ক্ষেত্র (গণিত)
thumb|ঝাঁঝরি হাতে বালিকা পিয়ের-ওগ্যুস্ত রনোয়ার (; ২৫ ফেব্রুয়ারি ১৮৪১ – ৩ ডিসেম্বর ১৯১৯) ছিলেন অন্তর্মুদ্রাবাদী ঘরানার একজন অন্যতম প্রধান ফরাসি চিত্রশিল্পী। পাদটীকা বিষয়শ্রেণী:ফরাসি চিত্রশিল্পী বিষয়শ্রেণী:১৮৪১-এ জন্ম বিষয়শ্রেণী:১৯১৯-এ মৃত্যু
পিয়ের-ওগ্যুস্ত রনোয়ার
উইলিয়াম ব্লেইক (ইংরেজি ভাষায়: William Blake) (২৮শে নভেম্বর, ১৭৫৭ - ১২ই আগস্ট, ১৮২৭) ইংরেজ কবি, চিত্রশিল্পী এবং মুদ্রাকর, যাকে রোমান্টিক যুগ এর অগ্রদূত বলা হয়। জীবদ্দশায় যথেষ্ট স্বীকৃতি না পেলেও বর্তমানে তাকে রোমান্টিক যুগের কবিতা এবং চিত্রশিল্পের ইতিহাসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের একজন বিবেচনা করা হয়। তার দূরদৃষ্টিসম্পন্ন কবিতাগুলো যতোটা মেধার স্বাক্ষর বহন করে সে তুলনায় ইংরেজি সাহিত্যে তার কবিতা সবচেয়ে কম পঠিত হয়েছে। তার আঁকা ছবি এতোই চিন্তা উদ্দীপক ছিল যে একজন সমসাময়িক শিল্প সমালোচক তাকে ঘোষণা দিয়েছিলেন, "ব্রিটেন যত শিল্পী সৃষ্টি করেছে তার মধ্যে নিঃসন্দেহে সবার সেরা এবং অন্য যে কারও চেয়ে অনেক এগিয়ে"। তিন বছর ফেল্পহ্যামে থাকাটা বাদ দিলে জীবনের পুরোটা সময়ই লন্ডনে কাটিয়েছেন। কিন্তু তার কর্ম এতো বৈচিত্র্যময় ও রূপকাশ্রিত যে মনে হয় তিনি যেন "ঈশ্বরের সর্বস্ব" বা "গোটা মানব অস্তিত্ব" কল্পনায় ধারণ করতেন। খেয়ালি মেজাজ ও অনন্য দৃষ্টিভঙ্গির কারণে সমসাময়িকদের অনেকে তাকে পাগল ভাবতেন। কিন্তু পরবর্তী যুগের সমালোচকরা তার প্রকাশভঙ্গী ও সৃজনশীলতা এবং তার লেখা ও ছবির দার্শনিক ও আধ্যাত্মিক অন্তঃসার দেখে মুগ্ধ হয়েছেন। তার ছবি ও কবিতাকে রোমান্টিক বা প্রাক-রোমান্টিক আন্দোলনের বৈশিষ্ট্যে বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত বলে চিহ্নিত করা হয়েছে, কারণ তার মূল প্রকাশ অষ্টাদশ শতকে। বাইবেলের প্রতি ভক্তি থাকলেও ব্লেইক চার্চ অফ ইংল্যান্ডের প্রতি ক্ষিপ্ত ছিলেন, আসলে সকল ধরনের সংগঠিত ধর্মের প্রতিই তার ক্ষোভ ছিল। তিনি ফরাসি বিপ্লব এবং মার্কিন বিপ্লব এর আদর্শ ও উচ্চাভিলাস এবং Jakob Böhme ও Emanuel Swedenborg এর মত চিন্তাবিদদের দ্বারা অণুপ্রাণিত হয়েছিলেন। এই অণুপ্রেরণাগুলো থাকলেও তার কর্মের অনন্যতা তাকে কোন নির্দিষ্ট শ্রেণীর মাঝে ফেলতে দেয় না। ঊনবিংশ শতকের পণ্ডিত উইলিয়াম রোজেটি তাকে glorious luminary (প্রসিদ্ধ জ্যোতিষ্ক) বলেছিলেন এবং তার মতে ব্লেইক এমন একজন ব্যক্তি "যার আগমন তার পূর্বসূরীরা অনুমান করতে পারেনি, যাকে তার সমসাময়িকদের সাথে এক কাতারে দাঁড় করানো যায় না এবং যাকে কোন উত্তরসূরী দিয়ে কোনদিন প্রতিস্থাপিত করা যাবে না"। তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ William Blake Archive বিষয়শ্রেণী:ইংরেজ কবি বিষয়শ্রেণী:ইংরেজ চিত্রশিল্পী বিষয়শ্রেণী:১৭৫৭-এ জন্ম বিষয়শ্রেণী:১৮২৭-এ মৃত্যু বিষয়শ্রেণী:ধর্মের সমালোচক বিষয়শ্রেণী:নারীবাদী পুরুষ বিষয়শ্রেণী:পুরাণপ্রসূ সাহিত্যিক বিষয়শ্রেণী:মহাকবি বিষয়শ্রেণী:ইংরেজ পুরুষ কবি
উইলিয়াম ব্লেইক
সাদ্দাম হোসেন আবদুল মাজিদ আল তিকরিতি (আরবি: (২৮ এপ্রিল ১৯৩৭- ৩০ ডিসেম্বর ২০০৬) ছিলেন ইরাকের সাবেক রাষ্ট্রপতি। তিনি ১৬ জুলাই ১৯৭৯ থেকে ৯ এপ্রিল ২০০৩ সাল পর্যন্ত ইরাকের রাষ্ট্রপতি ছিলেন। প্রথমে সাদ্দাম হোসেন জেনারেল আহমেদ হাসান আল বকরের উপ-রাষ্ট্রপতি ছিলেন। সেই সময় সাদ্দাম দৃঢ় ভাবে সরকার ও সামরিক বাহিনীর মধ্যকার বিরোধের অবসান ঘটান। এই উদ্দেশ্যে তিনি নিরাপত্তা বাহিনী গঠন করেন। ইরাকের রাষ্ট্রপতি ও বাথ পার্টির প্রধান হিসেবে সাদ্দাম হোসেন আরব জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে ধর্ম নিরপেক্ষ ও আধুনিক ইরাক গড়ে তুলতে প্রয়াস নেন। সাদ্দাম এক দলীয় শাসন কায়েম করেন। এসময়ই সাদ্দাম ইরানের সাথে ৯ বছরের যুদ্ধে জড়িয়ে পরেন (১৯৮০-১৯৮৮)। ইরাক-ইরান যুদ্ধের পরে ১৯৯১-এ সাদ্দাম উপসাগরীয় যুদ্ধে জড়িয়ে পরেন। সাদ্দাম তার মতে ইরাকের স্থিতিশীলতার বিরুদ্ধের সকল পক্ষকে নির্মুল করার উদ্যোগ নেন। এই বিরুদ্ধ পক্ষে ছিল উপজাতীয় ও ধর্মীয় গোত্র গুলো যারা স্বাধীনতা দাবি করছিল। যেমন, ইরাকি শিয়া মুসলমান, কুর্দি, ইরাকি তুর্কি জনগন। ২০০৩ সালে যুক্তরাজ্যের নেতৃত্বে কতিপয় আন্তর্জাতিক রাষ্ট্র ইরাক আক্রমণ করে। তারা এই যুক্তি দেখিয়ে আক্রমণ করে যে, সাদ্দাম ব্যাপক ধ্বংসাত্বক জীবাণু অস্ত্র তৈরি করছেন (যদিও যুদ্ধ পরবর্তি সময়ে এমন কোন অস্ত্রের হদিস পাওয়া যায় নাই)। ১৩ ডিসেম্বর ২০০৩ সালে সাদ্দাম হোসেন আমেরিকান সেনাদের কাছে ধরা পড়েন। পরবর্তিতে আমেরিকা ইরাকি সরকারের হাতে সাদ্দাম হোসেনের বিচার করে। সাদ্দামের বিরুদ্ধে ছিল মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ। ২০০৬ সালের ৩০ ডিসেম্বর ইরাকি সময় সকাল ৬.০৬ মিনিটে ইরাকে সাদ্দাম হোসেনের ফাঁসি কার্যকর হয়। প্রারম্ভিক জীবন সাদ্দাম আব্দ আল মাজিদ আল তিকরিতি ইরাকি শহর তিকরিত থেকে ১৩ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত আল-আওজা শহরে আল-বেগাত নামে একটি মেষপালক গোত্রে জন্মগ্রহণ করেন। আল-বেগাত গোত্রটি আল-বু নাসির (البو ناصر) গোত্রের অন্তর্গত। তার মা, সুবহা তুলফা আল মুসসালাত তার নবজাতক পুত্রের নাম রাখেন সাদ্দাম, যার আরবি মানে "যিনি মোকাবেলা করেন"। তিনি সর্বদা এই ব্যক্তিগত নাম, যা গোত্রনাম এবং অন্যান্য উপাদান দ্বারা অনুসরণ করা যেতে পারে দ্বারা উল্লেখ করা হয়. যখন তিনি তার পিতাকে হুসাইনের 'আব্দ আল মজিদ, ছয় মাস অদৃশ্য আগে সাদ্দাম জন্মগ্রহণ জানতাম না. এর অল্প কিছুদিন পরে, সাদ্দামের 13 বছর বয়সী ভাই ক্যান্সারে মারা যান. শিশু সাদ্দাম তার মাতুল কাইরাল্লাহ তুলফা পর্যন্ত তিনি তিনটি ছিল পরিবারের কাছে পাঠানো হয়েছিল. তার মা আরেকটি বিয়ে, এবং সাদ্দাম এই বিয়ের মাধ্যমে তিন সতভাই অর্জন. তার সৎ বাবা, ইব্রাহিম আল-হাসান, রূঢ়ভাবে ফেরার পর সাদ্দাম চিকিত্সা. 10 বছর বয়সে, সাদ্দাম পরিবার পালিয়ে যান এবং তার চাচা কাইরাল্লাহ তুলফা সঙ্গে বাগদাদের বাস ফিরে আসেন. তুলফা , সাদ্দাম ভবিষ্যত স্ত্রীর পিতা, একজন ধর্মপ্রাণ সুন্নি মুসলমান এবং ইরাকি জাতীয়তাবাদী এবং যুক্তরাজ্য, যা এ অঞ্চলের একটি প্রধান ঔপনিবেশিক ক্ষমতা রয়ে মধ্যে 1941 ইঙ্গ-ইরাকি যুদ্ধের একটি ঘুঘু ছিল. তার নেটিভ তিকরিত থেকে তার জীবন আত্মীয় পরবর্তীতে তার নিকটতম উপদেষ্টাদের এবং কয়েকজন সমর্থককে ওঠে. তার চাচা নির্দেশের অধীনে তিনি বাগদাদে একটি জাতীয়তাবাদী উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন. মাধ্যমিক বিদ্যালয় সাদ্দাম ইরাকের আইন স্কুলে পড়াশোনা করার পর তিন বছর ধরে, 20 বছর বয়সে 1957 সালে ড্রপ আউট বিপ্লবী প্যান-আরব বাথ পার্টি, যা তার চাচা সমর্থক ছিলেন যোগদানের জন্য. এই সময়, সাদ্দাম দৃশ্যত একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় শিক্ষক হিসেবে নিজেকে সমর্থিত. সাদ্দাম হোসেন ও বাথ পার্টির ছাত্র সেল, কায়রো, সময়ের 1959-1963 মধ্যে বিপ্লবী মনোবৃত্তি ইরাকে এবং মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে যুগের বৈশিষ্ট ছিল. ইরাকে প্রগতিশীলদের এবং সমাজতন্ত্রীদের ঐতিহ্যগত রাজনৈতিক অভিজাত (ঔপনিবেশিক যুগ আমলা ও জমির মালিক, ধনী বণিক ও উপজাতীয় প্রধানরা এবং monarchists) assailed. তাছাড়া, মিশরে গামাল আবদেল নাসেরের প্যান-আরব জাতীয়তাবাদ অঘোরে সাদ্দাম মত তরুণ Ba'athists প্রভাবিত. নাসের উত্থানের ইরাক, মিশর, লিবিয়া ও রাজতন্ত্রের পতন সঙ্গে 1950 ও 1960-এর দশকে মধ্যপ্রাচ্যের সর্বত্র বিপ্লবের ঢেউ পূর্বাভাস,. নাসের, 1956 সালের সুয়েজ সংকট চলাকালে ব্রিটিশ এবং ফরাসি যুদ্ধ মিশর আধুনিকায়ন, এবং রাজনৈতিকভাবে আরব বিশ্বের ঐক্যবদ্ধ হয়ে মধ্যপ্রাচ্যের সর্বত্র জাতীয়তাবাদীদের অনুপ্রাণিত। 1958 সালে, একটি বছর সাদ্দাম পর বাথ পার্টি যোগদান করেন, সেনা অফিসারদের সাধারণ আব্দ আল করিম কাসেমের নেতৃত্বে ইরাকে দ্বিতীয় ফয়সাল 14 জুলাই বিপ্লবে ধ্বংস করে দিলেন. ক্ষমতায় আরোহণ কাসিম এর মন্ত্রিসভা 16 সদস্যের মধ্যে 12 বাথ পার্টির সদস্য ছিলেন; তবে দল গামাল আবদেল নাসেরের ইউনাইটেড আরব রিপাবলিক যোগদানের জন্য তার অস্বীকৃতির কারণে কাসিম বিরুদ্ধে পরিণত। সরকারের মধ্যে তার নিজের অবস্থান মজবুত করার জন্য, কাসিম ইরাকী কমিউনিস্ট পার্টি, যা আরবীয় একাত্মতা কোন ধারণা ছিল বিরোধিতা সঙ্গে একটি জোট তৈরি করা। সেই বছর, বাথ পার্টির নেতৃত্বে কাসেম হত্যা করার পরিকল্পনা ছিল. সাদ্দাম অপারেশন একটি নেতৃস্থানীয় সদস্য ছিলেন. সময়ে, বাথ পার্টির একটি শক্তিশালী সরকার বিরোধী যুদ্ধ মেশিন আর একটি মতাদর্শগত পরীক্ষা বেশি ছিল. তার সদস্যদের সংখ্যাগরিষ্ঠ পারেন শিক্ষিত পেশাদার বা ছাত্র-ছাত্রী ও সাদ্দাম বিল মাপসই করা হবে. সাদ্দামের পছন্দ ছিল ঐতিহাসিক কন Coughlin অনুযায়ী, "কষ্টসহকারে বিস্ময়কর". কাসিম হত্যার ধারণা হয়তো আছে নাসেরের, এবং ফটকা যারা অপারেশনে অংশ নেয়া কিছু দামাস্কাস, যা পরে UAR অংশ ছিল এ প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে নেই. হত্যাকারীরা 7 অক্টোবর 1959 আল-রশিদ স্ট্রিটে কাসিম থেকে আক্রমন করার পরিকল্পনা: এক ব্যক্তি, বাকি সামনে ঐ হত্যা গাড়ির পিছে বসে সেই হত্যা করা. অতর্কিত হামলায় সময় এটা দাবি করা হয় যে সাদ্দাম শুটিং শুরু অকালে, যা পুরো অপারেশন বিশৃঙ্খল. কাসিমের শোফার হত্যা করা হয়, এবং কাশিম হাত ও কাঁধে আঘাত করা হয়েছে. হত্যাকারীরা বিশ্বাস তারা তাকে হত্যা করেছে এবং দ্রুত তাদের সদর দপ্তর থেকে পশ্চাত্পদ, কিন্তু কাশিম বেঁচে. হামলা বাথ পার্টির তুলনায় কম 1,000 সদস্য সংখ্যা ছিল এর সময়ে. ষড়যন্ত্রকারীদের কিছু দ্রুত সিরিয়া, Ba'athist মতাদর্শের আধ্যাত্মিক বাড়ির জন্য দেশ ছেড়ে পরিচালিত. সেখানে সাদ্দাম মিশেল Aflaq দ্বারা পার্টি পুরো সদস্যপদ দেয়া হয়। অপারেশন কিছু সদস্য গ্রেফতার এবং ইরাকি সরকারের হেফাজতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল. প্রদর্শনী বিচারের সময়ে, আসামীদের ছয় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল; অজ্ঞাত কারণে বাক্য আউট বাহিত হয় নি. Aflaq, Ba'athist আন্দোলনের নেতা, যেমন ফুয়াদ আল Rikabi হিসাবে নেতৃস্থানীয় ইরাকি Ba'athist সদস্য, বিতাড়ন সংগঠিত ভিত্তিতে যে দল কাসিমের জীবন চেষ্টা শুরু করেছি না করা উচিত. একই সময়ে, Aflaq, তার সমর্থকদের জন্য ইরাকের বাথ নেতৃত্বের আসন অভেদ্য এক তাদের সাদ্দাম হচ্ছে পরিচালিত। সাদ্দাম 1959 সালে মিশর থেকে পালিয়ে, এবং তিনি 1963 সাল পর্যন্ত সেখানে বাস করতে লাগলেন. বাথ পার্টির বন্ধন সঙ্গে আর্মি অফিসার 1963 Ba'athist নেতাদের রমজান বিপ্লব অভ্যুত্থানে কাসিম উল্টে মন্ত্রিসভা নিয়োগ করা হয় এবং আবদুল সালাম আরিফ সভাপতি নির্বাচিত হন. আরিফ নভেম্বর 1963 ইরাকি অভ্যুত্থান সালে বরখাস্ত এবং পরে যে বছর Ba'athist নেতাদের গ্রেফতার করা হয়. আরিফ 1966 সালে এক বিমান দুর্ঘটনায় নিহত হন, কি ইরাকি সামরিক Ba'athist উপাদান দ্বারা নাশকতার হয়েছে পারে. [24] আব্দ রাহমানের আল-বাজাজ তিনদিন ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হন, এবং প্রেসিডেন্ট একটি ক্ষমতার দ্বন্দ্ব ঘটেছে. প্রতিরক্ষা পরিষদের প্রথম সভা ও একজন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করার জন্য মন্ত্রিসভায় আল-বাজাজ প্রেসিডেন্সি জয় করার একটি দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রয়োজন. আল-বাজাজ অসফল ছিল, এবং আব্দুর রহমান আরিফ সভাপতি নির্বাচিত হন. তিনি দুর্বল এবং তার ভাইয়ের চেয়ে নিপূণভাবে সহজ হিসাবে সেনা কর্মকর্তাদের দ্বারা দেখা হয়. সাদ্দামের ইরাক ফিরে আসেন, কিন্তু 1964 সালে কারারুদ্ধ করা হয় 1966 সালে, আহমেদ হাসান আল-বকর তাকে আঞ্চলিক কমান্ডের ডেপুটি সেক্রেটারি নিযুক্ত. সাদ্দাম 1967 সাদ্দাম, একজন দক্ষ সংগঠক হিসেবে প্রমাণিত হবে সালে কারাগার থেকে পালিয়ে, দল পুনরুজ্জীবিত. তিনি আঞ্চলিক কমান্ড সদস্য নির্বাচিত হন, যেমন গল্পের Aflaq Ba'athist প্রতিষ্ঠাতা চিন্তা Michel থেকে সাহায্যে, যায়। 1968 সালে সাদ্দাম আহমেদ হাসান আল-বকর নেতৃত্বে রক্তপাতহীন অভ্যুত্থানে আব্দুর রহমান আরিফ উল্টে অংশগ্রহণ করেন. সাদ্দাম ও সালাহ ওমর আল আলী সামরিক Ba'athists সাথে যোগাযোগ করেন এবং মাটিতে তাদের নেতৃত্ব সাহায্য করেছে। আরিফ লন্ডন ইস্তানবুল এবং তারপর আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। আল-বকর সভাপতি নামে নামকরণ করা হয় এবং সাদ্দাম তার ডেপুটি নামে নামকরণ করা হয়, এবং Ba'athist বিপ্লবী কমান্ড কাউন্সিলের ডেপুটি চেয়ারম্যান. জীবনীকারদের মতে, সাদ্দাম কখনই প্রথম Ba'athist সরকারের মধ্যে উত্তেজনা, যা তার ব্যবস্থা বাথ পার্টি ঐক্য উন্নীত করা এবং সেইসাথে তার সংকল্পকে ক্ষমতা বজায় রাখা এবং প্রোগ্রাম সামাজিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার জন্য ভিত্তি ভুলে গেছি. যদিও সাদ্দাম আল-বকর ডেপুটি ছিলেন, তিনি একটি শক্তিশালী চিত্রগ্রহণের পার্টি রাজনীতিবিদ ছিলেন. আল-বকর ছিল পুরোনো এবং দুই এর অধিক সম্মানজনক, কিন্তু 1969 দ্বারা সাদ্দাম পরিষ্কারভাবে পার্টি পিছনে চালিকা শক্তি হয়ে উঠেছে। তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ সাদ্দাম হুসাইন সম্পর্কে তথ্য হুসাইন প্রোফাইল -- বিবিসি নিউজ বিষয়শ্রেণী:ইরাকের রাষ্ট্রপতি বিষয়শ্রেণী:ইরাকের শাসক বিষয়শ্রেণী:১৯৩৭-এ জন্ম বিষয়শ্রেণী:২০০৬-এ মৃত্যু বিষয়শ্রেণী:আরব রাজনীতিবিদ বিষয়শ্রেণী:ইরাকি আরব জাতীয়তাবাদি বিষয়শ্রেণী:আরব জাতীয়তাবাদি রাষ্ট্রপ্রধান বিষয়শ্রেণী:স্নায়ুযুদ্ধের নেতা বিষয়শ্রেণী:বিরুদ্ধ-মার্কিনবাদ
সাদ্দাম হুসাইন
আমেরিকা দ্বারা নিম্নের যেকোন একটি বোঝায়: দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র - আমেরিকা মহাদেশ অঞ্চলের সবচেয়ে প্রভাবশালী রাষ্ট্র। মহাদেশ আমেরিকা অঞ্চল - ৬ মহাদেশ মডেল অনুসারে উত্তর আমেরিকা এবং দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশ নিয়ে গঠিত সুবৃহৎ অঞ্চল। উত্তর আমেরিকা, ৭ মহাদেশ মডেলের এক মহাদেশ। দক্ষিণ আমেরিকা, ৭ মহাদেশ মডেলের এক মহাদেশ। অন্যান্য স্থানের নাম নেদারল্যান্ডস আমেরিকা, নেদারল্যান্ডস আমেরিকা, লিমবার্গ আমেরিকা, স্যাক্সনি আরো দেখুন বিষয়শ্রেণী:আমেরিকা
আমেরিকা (দ্ব্যর্থতা নিরসন)
আত্মসংবৃতি বা অটিজম একটি নিউরোডেভেলপমেন্টাল ডিজঅর্ডার, যা বয়স তিন বছর হবার পূর্বেই প্রকাশ পায়। আত্মসংবৃতি আক্রান্ত শিশুরা সামাজিক আচরণে দুর্বল হয়, পারস্পরিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে কম সক্ষম হয়। মানসিক সীমাবদ্ধতা ও একই কাজ বারবার করার প্রবণতা থেকে এদের শনাক্ত করা যায়। এই রোগের কারণ সর্ম্পকে এখনও কোনও পরিষ্কার ধারণা পাওয়া যায়নি। তবে জেনেটিক কারণে এটি হয় বলে প্রমাণ আছে। এর কারণ হিসেবে পারিপার্শ্বিক ঝুঁকির (যেমন: টিকা নেবার সীমাবদ্ধতা) কথা বলা হলেও কোনও গবেষণায় এর প্রমাণ পাওয়া যায় না। এক-দুই বছর বয়সে শিশুর আচরণে এ রোগের লক্ষণ দেখা দিতে থাকে। অভিভাবকরাই সাধারণত প্রথমে এ রোগের লক্ষণ বুঝতে শুরু করেন। লক্ষণ প্রকাশ পেলে দ্রুত বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেয়া জরুরি। রোগ নির্ণয়ে মূলত শিশুর সম্পূর্ণ আচরণের ইতিহাস এবং স্নায়ুতাত্ত্বিক গণণার হিসাব বিবেচনা করা হয়। আক্রান্ত শিশুর পরিচর্যা করার জন্য দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ অতন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আচরণ বিশ্লেষণের মাধ্যমে আক্রান্তের পরিচর্যা বা এপ্লায়িড বিহেভিয়ার এন্যালিসিসের সাহায্যে আক্রান্তের চিকিৎসা করাই সর্বাধিক গ্রহণযোগ্য এবং কার্যকরী। অত্মসংবৃতির মাত্রা অত্যধিক বেশি হলে রোগীদের স্বাধীন জীবনযাপনের সম্ভাবনা খুব কম থাকে তবে কম মাত্রার রোগীদের বেলায় এ ক্ষেত্রে পূর্ণ বয়সে সফলতা আসার সম্ভাবনা বেশি। তবে এ রোগের ক্ষেত্রে একে জীবনযাপনের একটি বিশেষত্ব মনে করে চিকিৎসা করাই ভাল। অত্মসংবৃতির প্রকাশ বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন হারে ঘটে। আধুনিক গবেষণা মতে, প্রতি হাজারে ১-২ জন অত্মসংবৃতিতে এবং এক হাজারে ৬ জন এএসডি রোগে আক্রান্ত হতে পারে। বিশেষ করে ১৯৮০ সালের পর থেকে আক্রান্ত হয়েছে জানা গেছে এমন রোগীর সংখ্যা বেড়ে গেছে। তবে এর পিছনে উন্নত রোগ নির্ণয় পদ্ধতি এবং সচেতনতা বৃদ্ধিই মূল কারণ বলে বিবেচিত হয়। অটিস্টিক শিশুরা অস্বাভাবিক আচরণ করতে পারে বা আকাঙ্ক্ষিত আচরণ করতে অক্ষম হতে পারে। নির্দিষ্ট বয়সে স্বাভাবিক আচরণের বহিঃপ্রকাশ ঘটলেও পরবর্তীকালে তা হারিয়ে যেতে পারে। আবার নির্দিষ্ট সময় থেকে দেরিতেও সাধারণ ব্যবহারগুলোর দেখা যেতে পারে। এই ডেভেলপমেণ্টাল বিলম্বতার মাত্রা নির্ণয়ের ক্ষেত্রে সকল চিকিৎসকেরা একই সিদ্ধান্তে নাও আসতে পারেন। ব্যাপকতা সবচেয়ে প্রচলিত মতামত অনুসারে নতুন জন্মগ্রহণকারী প্রতি ১০,০০০ জীবিত শিশুর মধ্যে ৪.৫ জন আত্মসংবৃতিতে আক্রান্ত হয়ে থাকে। অবশ্য এটি যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে পরিচালিত জরিপের ফলে প্রাপ্ত একটি পরিসংখ্যান। বর্তমানকালের পরিসাংখ্যিক গবেষণার ভিত্তিতে মোট জনসংখ্যা .২৫% থেকে .৫০% পর্যন্ত এ ধরনের রোগে আক্রান্ত বলে প্রমাণিত হয়েছে। এ ধরনের রোগ বলতে আত্মসংবৃতি, অ্যাসপারগারের লক্ষণ এবং পিডিডি-সমূহকে বোঝানো হয়। আবিষ্কার ও গবেষণার ইতিহাস আত্মসংবৃতি শব্দটি মূলত ইংরেজি Autism শব্দের পারিভাষিক প্রতিশব্দ। Autism শব্দটি প্রথম ইংরেজি ভাষায় ব্যবহৃত হয়। এটি প্রথম ব্যবহার করেন সুইস মনঃচিকিৎসক অয়গেন ব্লয়লার (Eugen Bleuler)। তিনি American Journal of Insanityতে প্রকাশিত তার একটি নিবন্ধে অস্বাভাবিকরকম এই শব্দটি ব্যবহার করেন। এটি গ্রিক শব্দ αυτος (আউতোস্‌ অর্থাৎ "আত্ম", "নিজ") থেকে এসেছে। ব্লয়লার একান্তভাবে ভগ্নমনস্ক (Schizophrenic) মানুষ, যারা অন্য লোকদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করতে পারে না তাদের বোঝাতে এই শব্দের প্রচলন করেন। বর্তমান পরিভাষায় ভগ্নমনস্কতা সম্পূর্ণ আলাদা রোগ। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে এদের পৃথক করা কঠিন হতে পারে। তবে আত্মসংবৃতির চিকিৎসা শাস্ত্রগত শ্রেণিবিন্যাস ১৯৪৩ সালের আগে হয় নি। ১৯৪৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ড অঙ্গরাজ্যের বাল্টিমোরে অবস্থিত জন হপকিন্স হাসাপাতালের মনঃচিকিৎসক ডঃ লিও ক্যানার সর্বপ্রথম ১১ টি মানসিক ব্যাধিগ্রস্ত শিশুর আক্রমণাত্মক ব্যবহারের সামঞ্জস্যতা লক্ষ করে এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন করেন এবং এ ধরনের ব্যাধির নাম দেন "early infantile autism"। শিশুরা অন্য মানুষের সাথে সম্পর্ক স্থাপন বা যোগাযোগে উৎসাহ হারিয়ে ফেলে, এই রোগটিকে তিনি অটিজ্‌ম নামে চিহ্নিত করেন। এ বিষয়ে তার প্রথম প্রবন্ধ The Nervous Child নামক সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছিল। তার বর্ণনার অনেক কিছুই এখনো আত্মসংবৃত শিশুদের চিকিৎসার জন্য প্রয়োগ করা হয়। প্রায় একই সময়ে অস্ট্রীয় বিজ্ঞানী ডঃ হ্যান্স অ্যাসপারগার একই ধরনের পর্যবেক্ষণ করেন। তবে তার পর্যবেক্ষণটি বেশ উঁচুমাত্রার এবং একটু অন্য ধরনের বৈশিষ্ট্যাবলীর জন্য প্রয়োগ করা হয়। এই বিষয়টির নাম অ্যাসপারগারের লক্ষণ বা Asperger's syndrome। তবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ এবং তার প্রবন্ধগুলো ইংরেজিতে অনূদিত না হওয়ার কারণে তার পর্যবেক্ষণগুলো অনেকদিন কোন স্বীকৃতি পায় নি। ১৯৯৭ সালে তার প্রবন্ধগুলো স্বীকৃতি পায় এবং ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে। আত্মসংবৃতি এবং অ্যাসপারগারের লক্ষণ বর্তমানকালে পাঁচটি পরিব্যাপক উন্নয়নমূলক ব্যাধির (pervasive developmental disorder - PDD) দুইটি হিসেবে DSM-IV-TR (Diagnostic and Statistical Manual of Mental Disorders) -এর অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এই দুটিকে অটিস্টিক স্পেকট্রাম ব্যাধি (autism spectrum disorders - ASD)-ও বলা হয়ে থাকে। যোগাযোগ দক্ষতা, সামাজিক মিথস্ক্রিয়া এবং মানবীয় ব্যবহার-এর ত্রুটির বিভিন্ন মাত্রার উপর ভিত্তি করে এই রোগের শর্তগুলোকে আরও শ্রেণিবিভক্ত করা হয়। বৈশিষ্ট্যসমূহ আত্মসংবৃতিতে আক্রান্তদের আচার-ব্যবহার এবং সংবেদন পদ্ধতি অন্যদের চেয়ে অনেক আলাদা হয় এবং আক্রান্তদের মধ্যেও থাকে অনেক পার্থক্য। শব্দ, আলো, স্পর্শ ইত্যাদি ছদ্মরুপগুলোর প্রতি আত্মসংবৃতদের আচরণ সাধারণদের থেকে বেশ পৃথক ও অদ্ভুত। শারীরিক দিক দিয়ে আত্মসংবৃতদের সাথে সাধারণদের কোন পার্থক্য করা যায় না। অবশ্য মাঝে মাঝে শারীরিক বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার সাথে আত্মসংবৃতি একসাথে আসে, সেক্ষেত্রও পার্থক্যগুলো হবে আপাত; কারণ দৈহিক পার্থক্য থাকলেও তার উপর আত্মসংবৃতি খুব একটা নির্ভর করে না। আত্মসংবৃতদের মস্তিষ্কের আকৃতি সাধারণের চেয়ে বড় হয়ে থাকে, তবে এর প্রভাব সম্বন্ধে এখনও সঠিক কিছু জানা যায় নি। আরও দেখুন আত্মসংবৃতির কারণ শিক্ষা মনোবিজ্ঞান ন্যাশনাল অ্যালায়েন্স ফর অটিজ্‌ম রিসার্চ আত্মসংবৃত ব্যক্তিত্বের তালিকা আত্মসংবৃত পণ্ডিতবৃন্দ বহিঃসংযোগ সাধারণ তথ্য ডিমজ (DMOZ) সংযোগের ডিরেক্টরি NIH.gov - 'All Autism Spectrum Disorders (Pervasive Developmental Disorders): A detailed booklet that describes symptoms, causes, and treatments, with information on getting help and coping', National Institute of Mental Health (2004) CDC.gov - National Center on Birth Defects and Developmental Disabilities, Centers for Disease Control (CDC) CDC.gov - 'Learn the Signs. Act Early. Autism Spectrum Disorders Fact Sheet', CDC CenterForAutism - 'What Is Autism?' Center for Autism and Related Disorders সম্প্রদায় GettingTheTruthOut.org - 'অটিজ্‌ম: সত্য উদ্‌ঘাটন' অটিস্টিক্‌স.অরগ অ্যাস্পারজিয়া গবেষণা এবং ওকালতি Autism.org - সেন্টার ফর দ্য স্টাডি অফ অটিজ্‌ম Autism-Society.org - অটিজ্‌ম সোসাইটি অফ আমেরিকা AutismSpeaks.org - অটিজ্‌ম স্পিক্‌স CureAutsimNow.org - কিউর অটিজ্‌ম নাও (সিএএন) ফাউন্ডেশন AutismCentre.info - বেক্সলি অটিজ্‌ম সাপোর্ট ইনফরমেশন সেন্টার AutisticSociety.org - অটিস্টিক সোসাইটি Autistic type or autistic disorder ? , সংজ্ঞা - স্পেকট্রাম ব্যাধিতে আক্রান্তদের জন্য আত্ম কর্মসংস্থান এবং ওকালতি তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:আত্মসংবৃতি বিষয়শ্রেণী:শিশুদের মানসিক রোগ বিষয়শ্রেণী:প্রতিবন্ধকতা
আত্মসংবৃতি
thumb|ঈগল রে উপরনিচে চ্যাপ্টা দেহ, বাদুড়ের মতো একজোড়া ছড়ানো ডানা ও অতি দীর্ঘ লেজ বিশিষ্ট তরুণাস্থিযুক্ত মাছ (ইংরাজী নাম Batoids বা Ray)। এর লেজ দিয়ে চাবুক তৈরি হত। এদের কারো কারো বিদ্যুৎবাহী অঙ্গ আছে (ইলেক্ট্রিক রে)। এখন পর্য়ন্ত তেরটি পরিবারে অন্তর্ভুক্ত আনুমানিক ৫৬০ প্রজাতির মাছের বর্ণনা পাওয়া যায়। তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:তরুণাস্থিযুক্ত মাছ
শঙ্কর মাছ
thumb|right|350px|পাকিস্তানে মাটি ও রেগোলিথ-এর ভূমিধ্বস ভূমিধস (ইংরেজি Landslide) বলতে পাহাড়-পর্বতের গা থেকে মাটির চাকা বা পাথরের খণ্ড বিরাট মাধ্যাকর্ষণ এর টানে নীচে পড়লে তাকে ভূমিধস বলে। অনেক সময় পাহাড়ের ওপর থেকে জল ও মাটি মিশে কাদা আকারে বিপুল পরিমাণে নিচে নেমে আসলে তাকেও এক ধরনের ভূমিধ্বস আখ্যা দেয়া হয়। ভূমিধ্বসের কারণ thumb|left|মামেইসের ভূমিধ্বসে ১০০টিরও অধিক বাড়ি মাটি চাপা পড়েছিলো। বৃষ্টির পানি জমে থেকে চাপ সৃষ্টি করায় এই ভূমিধ্বসের সূত্রপাত হয়। ভূমিধ্বসের প্রধান কারণ হলো ঢালু স্থানের অস্থিতিশীলতা। বিভিন্ন কারণে ঢালু ভূমি অস্থিতিশীল হতে পারে। ভূমিধ্বসের প্রাকৃতিক কারণ হলো - ভূমিস্থ পানির চাপ। গাছপালা কেটে ফেলা বা আগুনে পুড়ে যাওয়ার ফলে ভূমি ক্ষয় হওয়া। নদী বা সমূদ্রের ঢেউয়ের ফলে ভূমিক্ষয়। বৃষ্টিপাত কিংবা বরফ গলার ফলে মাটি নরম হওয়া। ভূমিকম্পের কারণে ভূমি অস্থিতিশীল হওয়া। ভূমিকম্পের কারণে মাটি তরলীভূত হয়ে যাওয়া। অগ্ন্যুৎপাত ভূমিধ্বস অনেক সময়ে মানুষের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের ফলেও ঘটে থাকে, যেমন - যন্ত্রপাতি কিংবা রাস্তার গাড়ির দ্বারা সৃষ্ট কম্পন ও অনুরণন। বিস্ফোরণ বাঁধ বা মাটির স্তুপ, যা ঢালের উপরে অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করে। অগভীর জমি হতে গাছপালা কেটে ফেলা কৃষি, নির্মাণ, কিংবা গাছ কাটার ফলে মাটি থেকে পানির পরিমাণ কমে যাওয়া। আরও দেখুন হিমধস বিষয়শ্রেণী:প্রাকৃতিক দুর্যোগ ca:Esllavissada de:Bergsturz es:Corrimiento de tierra fa:رانش زمین lt:Nuošliauža no:Skred sr:Клизиште
ভূমিধস
thumb|right|ট্রিগভে হাভডেন লি ট্রিগভে হাভডেন লি (; জুলাই ১৬, ১৮৯৬ – ডিসেম্বর ৩০, ১৯৬৮) জাতিসংঘের প্রথম মহাসচিব। ১৯৪৬ সালের ২ ফেব্রুয়ারি তিনি জাতিসংঘের মহাসচিবের দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং ১৯৫২ সালের ১০ নভেম্বর পর্যন্ত এই পদে বহাল থাকেন। ট্রিগভে লি নরওয়ের নাগরিক ছিলেন। কোরিয়া যুদ্ধের সময় যুক্তরাষ্ট্র ও সাবেক সেভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যে বৈরি সম্পর্কের জন্য পদত্যাগ করেন। বিষয়শ্রেণী:জাতিসংঘের মহাসচিব বিষয়শ্রেণী:১৮৯৬-এ জন্ম বিষয়শ্রেণী:১৯৬৮-এ মৃত্যু
ট্রিগভে হাভডেন লি
খৈল / খোল হচ্ছে তৈল বীজ হতে তেল সংগ্রহের পর প্রাপ্ত অবশিষ্ঠাংশ। সর্ষে ইত্যাদি তৈলবীজকে ঘানিতে পেষাই করে তেল বের করে নেওয়ার পর বীজের খোলস ও অন্যান্য যে ছিবড়া পড়ে থেকে তাকেই খৈল বা খোল বলে। ব্যবহার খোল গাছের সার ও গোখাদ্য হিসাবে ব্যবহার হয়। বিষয়শ্রেণী:উদ্ভিদজাত পদার্থ
খোল (তৈলবীজ)
রাংপো () ভারতের সিকিম রাজ্যের পূর্ব সিকিম জেলার একটি শহর। এই শহরটি পশ্চিম বঙ্গ রাজ্যের সীমানায়, তিস্তা নদীর তীরে অবস্থিত। এটিই সিকিমের প্রথম শহর যেটির উপর দিয়ে শিলিগুড়ি থেকে গ্যাংটকের সংযোগ রাস্তা NH-31A বয়ে গেছে। এটি সমুদ্রতল থেকে ৩৩৩ মি উপরে অবস্থিত এবং এখানে উপ - গ্রীষ্মমন্ডলীয় জলবায়ু দেখা যায়। ভৌগোলিক উপাত্ত শহরটির অবস্থানের অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমাংশ হল । সমূদ্র সমতল হতে এর গড় উচ্চতা হল ৩৩৩ মিটার (১০৯২ ফুট)। জনসংখ্যার উপাত্ত ভারতের ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুসারে রাংপো শহরের জনসংখ্যা হল ৩৭২৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫৫% এবং নারী ৪৫%। এখানে সাক্ষরতার হার ৭০%। পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৭৫% এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৬৩%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%, তার চাইতে রাংপো এর সাক্ষরতার হার বেশি। এই শহরের জনসংখ্যার ১৩% হল ৬ বছর বা তার কম বয়সী। তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:সিকিমের শহর
রাংপো
দিনাপুর ক্যান্টনমেন্ট () ভারতের বিহার রাজ্যের পাটনা জেলার একটি সেনানিবাস শহর। জনসংখ্যার উপাত্ত ভারতের ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুসারে দিনাপুর ক্যান্টনমেন্ট শহরের জনসংখ্যা হল ২৮,১৪৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫৬% এবং নারী ৪৪%। এখানে সাক্ষরতার হার ৭১%। পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৭৭% এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৬৩%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%, তার চাইতে দিনাপুর ক্যান্টনমেন্টের সাক্ষরতার হার বেশি। এই শহরের জনসংখ্যার ১৩% হল ৬ বছর বা তার কম বয়সী। সামরিক গুরুত্ব ১৯৪১ সালে ব্রিটিশরা এখানে বিহার রেজিমেন্টের সদর দপ্তরটি প্রতিষ্ঠা করে । তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:বিহারের শহর
দিনাপুর ক্যান্টনমেন্ট
হাবিবপুর () ভারতের বিহার রাজ্যের ভাগলপুর জেলার একটি শহর। জনসংখ্যার উপাত্ত ভারতের ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুসারে হাবিবপুর শহরের জনসংখ্যা হল ৯৩৬০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫৩% এবং নারী ৪৭%। এখানে সাক্ষরতার হার ৪০%। পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৪৬% এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৩৩%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%, তার চাইতে হাবিবপুর এর সাক্ষরতার হার বেশি। এই শহরের জনসংখ্যার ২০% হল ৬ বছর বা তার কম বয়সী। তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:বিহারের শহর
হাবিবপুর
জনকপুর রোড () ভারতের বিহার রাজ্যের সীতামারহি জেলার একটি শহর এবং তালিকাভুক্ত এলাকা। জনসংখ্যার উপাত্ত ভারতের ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুসারে জনকপুর রোড শহরের জনসংখ্যা হল ১৩,৩৪১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫৩% এবং নারী ৪৭%। এখানে সাক্ষরতার হার ৬৪%। পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৭২% এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৫৫%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%, তার চাইতে জনকপুর রোড এর সাক্ষরতার হার বেশি। এই শহরের জনসংখ্যার ১৭% হল ৬ বছর বা তার কম বয়সী। তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:বিহারের শহর
জনকপুর রোড
খগড়িয়া () ভারতের বিহার রাজ্যের খগড়িয়া জেলার একটি শহর ও পৌরসভা এলাকা। ভৌগোলিক উপাত্ত শহরটির অবস্থানের অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমাংশ হল । সমূদ্র সমতল হতে এর গড় উচ্চতা হল ৩৬ মিটার (১১৮ ফুট)। জনসংখ্যার উপাত্ত ভারতের ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুসারে খগড়িয়া শহরের জনসংখ্যা হল ৪৫,১২৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫৫% এবং নারী ৪৫%। এখানে সাক্ষরতার হার ৬৪%। পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৭০% এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৫৮%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%, তার চাইতে খগড়িয়ার সাক্ষরতার হার বেশি। এই শহরের জনসংখ্যার ১৭% হল ৬ বছর বা তার কম বয়সী। তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:বিহারের শহর
খগড়িয়া
লক্ষ্মীসরাই () ভারতের বিহার রাজ্যের লক্ষ্মীসরাই জেলার একটি শহর ও পৌরসভা এলাকা। জনসংখ্যার উপাত্ত ভারতের ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুসারে লখীসরাই শহরের জনসংখ্যা হল ৭৭,৮৪০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫৩% এবং নারী ৪৭%। এখানে সাক্ষরতার হার ৫০%। পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৫৯% এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৩৯%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%, তার চাইতে লখীসরাই এর সাক্ষরতার হার বেশি। এই শহরের জনসংখ্যার ১৮% হল ৬ বছর বা তার কম বয়সী। তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:বিহারের শহর
লক্ষ্মীসরাই
মনিহারী () ভারতের বিহার রাজ্যের কাতিহার জেলার একটি শহর এবং তালিকাভুক্ত এলাকা। ভৌগোলিক উপাত্ত শহরটির অবস্থানের অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমাংশ হল । সমূদ্র সমতল হতে এর গড় উচ্চতা হল ৩১ মিটার (১০১ ফুট)। জনসংখ্যার উপাত্ত ভারতের ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুসারে মনিহারী শহরের জনসংখ্যা হল ২১,৭৮৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫৩% এবং নারী ৪৭%। এখানে সাক্ষরতার হার ৪৪%। পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৫২% এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৩৫%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%, তার চাইতে মনিহারী এর সাক্ষরতার হার বেশি। এই শহরের জনসংখ্যার ১৯% হল ৬ বছর বা তার কম বয়সী। তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:বিহারের শহর
মনিহারী
মুরলীগঞ্জ () ভারতের বিহার রাজ্যের মাধেপুর জেলার একটি শহর এবং তালিকাভুক্ত এলাকা। ভৌগোলিক উপাত্ত শহরটির অবস্থানের অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমাংশ হল । সমূদ্র সমতল হতে এর গড় উচ্চতা হল ৫২ মিটার (১৭০ ফুট)। জনসংখ্যার উপাত্ত ভারতের ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুসারে মুরলীগঞ্জ শহরের জনসংখ্যা হল ২২,৯২১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫৩% এবং নারী ৪৭%। এখানে সাক্ষরতার হার ৪৫%। পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৫৩% এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৩৭%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%, তার চাইতে মুরলীগঞ্জ এর সাক্ষরতার হার বেশি। এই শহরের জনসংখ্যার ১৯% হল ৬ বছর বা তার কম বয়সী। তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:বিহারের শহর
মুরলীগঞ্জ
ফুলওয়ারী শরিফ () ভারতের বিহার রাজ্যের পাটনা জেলার একটি শহর এবং তালিকাভুক্ত এলাকা। জনসংখ্যার উপাত্ত ভারতের ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুসারে ফুলওয়ারী শরিফ শহরের জনসংখ্যা হল ৫৩,১৬৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫৩% এবং নারী ৪৭%। এখানে সাক্ষরতার হার ৬৩%। পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৭০% এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৫৬%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%, তার চাইতে ফুলওয়ারী শরিফ এর সাক্ষরতার হার বেশি। এই শহরের জনসংখ্যার ১৫% হল ৬ বছর বা তার কম বয়সী। তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:বিহারের শহর
ফুলওয়ারী শরিফ
রাভেলগঞ্জ () ভারতের বিহার রাজ্যের সরন জেলার একটি শহর ও পৌরসভা এলাকা। ভৌগোলিক উপাত্ত শহরটির অবস্থানের অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমাংশ হল । সমূদ্র সমতল হতে এর গড় উচ্চতা হল ৫২ মিটার (১৭০ ফুট)। জনসংখ্যার উপাত্ত ভারতের ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুসারে রাভেলগঞ্জ শহরের জনসংখ্যা হল ৩৪,০৪৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫২% এবং নারী ৪৮%। এখানে সাক্ষরতার হার ৪৫%। পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৫৬% এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৩২%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%, তার চাইতে রাভেলগঞ্জ এর সাক্ষরতার হার বেশি। এই শহরের জনসংখ্যার ১৭% হল ৬ বছর বা তার কম বয়সী। তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:বিহারের শহর
রাভেলগঞ্জ
সিলাউ () ভারতের বিহার রাজ্যের নালান্দা জেলার একটি শহর এবং তালিকাভুক্ত এলাকা। ভৌগোলিক উপাত্ত শহরটির অবস্থানের অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমাংশ হল । সমূদ্র সমতল হতে এর গড় উচ্চতা হল ৬০ মিটার (১৯৬ ফুট)। জনসংখ্যার উপাত্ত ভারতের ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুসারে সিলাউ শহরের জনসংখ্যা হল ২০,১৭৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫২% এবং নারী ৪৮%। এই শহরের জনসংখ্যার ১৯% হল ৬ বছর বা তার কম বয়সী। এখানে সাক্ষরতার হার ৫২%। পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৬০% এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৪৩%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%, তার চাইতে সিলাউ এর সাক্ষরতার হার বেশি। তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:বিহারের শহর eo:Silao de la Victoria es:Silao ru:Силао
সিলাউ
বনমানখি বাজার () ভারতের বিহার রাজ্যের পুরনিয়া জেলার একটি শহর এবং তালিকাভুক্ত এলাকা। জনসংখ্যার উপাত্ত ভারতের ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুসারে বনমানখি বাজার শহরের জনসংখ্যা হল ২৫,১৮৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫৫% এবং নারী ৪৫%। এখানে সাক্ষরতার হার ৫২%। পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৬১% এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৪১%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%, তার চাইতে বনমানখি বাজার এর সাক্ষরতার হার বেশি। এই শহরের জনসংখ্যার ১৮% হল ৬ বছর বা তার কম বয়সী। তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:বিহারের শহর
বনমানখি বাজার
বেতিয়া () ভারতের বিহার রাজ্যের পশ্চিম চম্পারণ জেলার একটি শহর ও পৌরসভা এলাকা। ভৌগোলিক উপাত্ত শহরটির অবস্থানের অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমাংশ হল । সমূদ্র সমতল হতে এর গড় উচ্চতা হল ৬৫ মিটার (২১৩ ফুট)। জনসংখ্যার উপাত্ত ভারতের ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুসারে বেত্তিয়া শহরের জনসংখ্যা হল ১১৬,৬৯২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫৩% এবং নারী ৪৭%। এখানে সাক্ষরতার হার ৬৫%। পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৭১% এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৫৮%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%, তার চাইতে বেত্তিয়া এর সাক্ষরতার হার বেশি। এই শহরের জনসংখ্যার ১৭% হল ৬ বছর বা তার কম বয়সী। তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:বিহারের শহর
বেতিয়া
ছত্তরপুর () ভারতের মধ্য প্রদেশ রাজ্যের ছত্তরপুর জেলার একটি শহর ও পৌরসভা এলাকা। ভৌগোলিক উপাত্ত শহরটির অবস্থানের অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমাংশ হল । সমূদ্র সমতল হতে এর গড় উচ্চতা হল ৩০৫ মিটার (১০০০ ফুট)। জনসংখ্যার উপাত্ত ভারতের ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুসারে ছত্রপুর শহরের জনসংখ্যা হল ৯৯,৫১৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫৩% এবং নারী ৪৭%। এখানে সাক্ষরতার হার ৬৯%। পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৭৫% এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৬২%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%, তার চাইতে ছত্রপুর এর সাক্ষরতার হার বেশি। এই শহরের জনসংখ্যার ১৫% হল ৬ বছর বা তার কম বয়সী। তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:মধ্য প্রদেশের শহর
ছত্তরপুর
ঢেঙ্কানাল () ভারতের ওড়িশা রাজ্যের ঢেঙ্কানাল জেলার একটি শহর ও পৌরসভা এলাকা। ভৌগোলিক উপাত্ত শহরটির অবস্থানের অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমাংশ হল । সমূদ্র সমতল হতে এর গড় উচ্চতা হল ৮০ মিটার (২৬২ ফুট)। জনসংখ্যার উপাত্ত ভারতের ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুসারে ঢেঙ্কানল শহরের জনসংখ্যা হল ৫৭,৬৫১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫৩% এবং নারী ৪৭%। এখানে সাক্ষরতার হার ৭৯%। পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৮৪% এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৭৪%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%, তার চাইতে ঢেঙ্কানল এর সাক্ষরতার হার বেশি। এই শহরের জনসংখ্যার ১০% হল ৬ বছর বা তার কম বয়সী। তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:ওড়িশার শহর en:Dhenkanal
ঢেঙ্কানাল
হিন্জিলিকাট () ভারতের ওড়িশা রাজ্যের গঞ্জাম জেলার একটি শহর। জনসংখ্যার উপাত্ত ভারতের ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুসারে হিন্জিলিকাট শহরের জনসংখ্যা হল ২১,৩৪৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫১% এবং নারী ৪৯%। এখানে সাক্ষরতার হার ৬৪%। পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৭৪% এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৫৪%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%, তার চাইতে হিন্জিলিকাট এর সাক্ষরতার হার বেশি। এই শহরের জনসংখ্যার ১৩% হল ৬ বছর বা তার কম বয়সী। তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:ওড়িশার শহর
হিন্জিলিকাট
জোদা () ভারতের ওড়িশা রাজ্যের কেন্দুঝার জেলার একটি শহর ও পৌরসভা এলাকা। জনসংখ্যার উপাত্ত ভারতের ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুসারে জোদা শহরের জনসংখ্যা হল ৩৮,৬৭১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫২% এবং নারী ৪৮%। এখানে সাক্ষরতার হার ৫৪%। পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৬৪% এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৪৩%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%, তার চাইতে জোদা এর সাক্ষরতার হার বেশি। এই শহরের জনসংখ্যার ১৬% হল ৬ বছর বা তার কম বয়সী। তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:ওড়িশার শহর
জোদা
কেন্দুঝর () ভারতের ওড়িশা রাজ্যের কেন্দুঝর জেলার একটি শহর ও পৌরসভা এলাকা। জনসংখ্যার উপাত্ত ভারতের ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুসারে কেন্দুঝর শহরের জনসংখ্যা হল ৫১,৮৩২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫৩% এবং নারী ৪৭%। এখানে সাক্ষরতার হার ৭৪%। পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৮০% এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৬৭%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%, তার চাইতে কেন্দুঝর এর সাক্ষরতার হার বেশি। এই শহরের জনসংখ্যার ১১% হল ৬ বছর বা তার কম বয়সী। তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:ওড়িশার শহর de:Kendujhar (Stadt)
কেন্দুঝর
কোদালা () ভারতের ওড়িশা রাজ্যের গঞ্জাম জেলার একটি শহর। ভৌগোলিক উপাত্ত জনসংখ্যার উপাত্ত ভারতের ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুসারে কোদালা শহরের জনসংখ্যা হল ১২,৩৪১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫০% এবং নারী ৫০%। এখানে সাক্ষরতার হার ৫৪%। পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৬৬% এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৪২%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%, তার চাইতে কোদালা এর সাক্ষরতার হার বেশি। এই শহরের জনসংখ্যার ১৫% হল ৬ বছর বা তার কম বয়সী। তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:ওড়িশার শহর
কোদালা (ভারত)
মুখিগুদা () ভারতের ওড়িশা রাজ্যের কালাহান্দি জেলার একটি শহর। জনসংখ্যার উপাত্ত ভারতের ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুসারে মুখিগুদা শহরের জনসংখ্যা হল ৬৮৫৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫৪% এবং নারী ৪৬%। এখানে সাক্ষরতার হার ৭৪%। পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৮৩% এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৬৪%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%, তার চাইতে মুখিগুদা এর সাক্ষরতার হার বেশি। এই শহরের জনসংখ্যার ১৩% হল ৬ বছর বা তার কম বয়সী। তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:ওড়িশার শহর
মুখিগুদা
পারাদিপ বা পারাদ্বীপ () ভারতের ওড়িশা রাজ্যের জগৎসিংহপুর জেলার একটি শহর। জনসংখ্যার উপাত্ত ভারতের ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুসারে পারাদিপ শহরের জনসংখ্যা হল ৭৩,৬৩৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫৮% এবং নারী ৪২%। এখানে সাক্ষরতার হার ৭৩%। পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৭৯% এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৬৫%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%, তার চাইতে পারাদিপ এর সাক্ষরতার হার বেশি। এই শহরের জনসংখ্যার ১২% হল ৬ বছর বা তার কম বয়সী। তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:ওড়িশার শহর
পারাদ্বীপ