content
stringlengths 40
35k
|
---|
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে গতকাল শনিবার থেকে শিক্ষকদের সর্বাত্মক কর্মবিরতি শুরু হয়েছে। উপাচার্য অধ্যাপক মো. আনোয়ার হোসেন পদত্যাগ না করা পর্যন্ত কর্মবিরতি চলবে বলে জানিয়েছে ফোরাম। উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে চলমান আন্দোলনে এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো কর্মবিরতি শুরু হলো।গত বুধবার সাধারণ শিক্ষক ফোরাম সংবাদ সমেঞ্চলনের মাধ্যমে কর্মবিরতির ঘোষণা দেয়। ফলে গত বৃহস্পতিবার অনেক শিক্ষার্থী ক্যাম্পাস ছেড়েছে। তাই প্রায় সব বিভাগেই শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর উপস্থিতি কম ছিল। কর্মবিরতির কারণে গতকাল অধিকাংশ বিভাগে স্বাভাবিক ক্লাস-পরীক্ষা হয়নি। অনেক শিক্ষার্থীকে ক্লাস করতে এসে ফিরে যেতে দেখা গেছে।আন্দোলনের কর্মসূচি হিসেবে র্কমবিরতির ফলে শিক্ষার্থীরা সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন এমন প্রশ্নের জবাবে শিক্ষক ফোরামের আহ্বায়ক অধ্যাপক মুহমঞ্চদ হানিফ আলী বলেন, এটা দেখবেন উপাচার্য। তিনি কেন কিছু করতে পারছেন না।উপাচার্য মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘তদন্ত কমিটি কাজ করছে। এর মধ্যে তাঁরা কীভাবে আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করলেন।’এদিকে উপাচার্যের অধীনে কোনো সভায় যোগ দেবেন না—আন্দোলনকারী শিক্ষকদের এমন ঘোষণার ফলে ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। কিছুদিন আগে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ভর্তি পরীক্ষার সময় ঘোষণা করেছে ২ থেকে ৯ নভেম্বর। কিন্তু এরপর কয়েক দফায় কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটির সভা স্থগিত করা হয়েছে।সর্বশেষ ২৬ সেপ্টেম্বর সহ-উপাচার্য অধ্যাপক এম এ মতিনের সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটির সভা হলেও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। অফিস আদেশের মাধ্যমে সভাপতিত্বের দায়িত্ব সহ-উপাচার্যকে দেওয়া হয়নি এমন অভিযোগে এ সভা বয়কট করেন তিনজন ডিন। তাঁরা হলেন কলা ও মানবিকী অনুষদের অধ্যাপক সৈয়দ মোহমঞ্চদ কামরুল আহছান, গাণিতিক ও পদার্থবিষয়ক অনুষদের অধ্যাপক মো. আবুল হোসেন, সমাজবিজ্ঞান অনুষদের অধ্যাপক মো. আমির হোসেন এবং আইন অনুষদের অধ্যাপক শেখ মো. মনজুরুল হক।এ বিষয়ে উপাচার্য বলেন, উপাচার্য মৌখিকভাবে আদেশ দিতে পারেন। এটা অবৈধ নয়।এদিকে কর্মবিরতির প্রতিবাদে গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের পাদদেশে ক্লাস নিয়েছেন দর্শন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রায়হান রাইন। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের ক্ষতিগ্রস্ত করে শিক্ষকেরা অনৈতিকভাবে যে কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন তাঁর প্রতিবাদে তিনি ক্লাস নিচ্ছেন।শেখ সালাহউদ্দিনের বয়স ৪৪ হয়ে গিয়েছিল। এই বয়সীদের কী তরুণ বলা যায়? হয়তো যায়, আবার যায়ও না। তবে মৃত্যুর জন্য বয়সটি যে অপরিণত, সেটা নির্দ্বিধায়ই বলে দেওয়া যায়। সালাহউদ্দিন বাংলাদেশের তৃতীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার, যিনি খুব অপরিণত বয়সেই মৃত্যু নামের অমোঘ এক সত্যকে আলিঙ্গন করলেন। প্রথমজন সেই মানজারুল ইসলাম রানা, দ্বিতীয়জন মাজহারুল হক মৃদুল। তবে বয়সে মানজারুল রানা আর মাজহার শেখ সালাহউদ্দিনের চেয়ে ছিলেন আরও অনেক তরুণ। সালাহউদ্দিন আর মাজহারের মৃত্যু ‘স্বাভাবিক’ হলেও সড়ক দুর্ঘটনায় মানজার রানার মৃত্যু ছিল ভয়াবহ এক ট্র্যাজেডি। তবে বাংলাদেশের ক্রিকেটে এই তিনটি মৃত্যু যে অকস্মাত্ বজ্রপাতের মতো—সেটা আর নতুন করে বলার কিছুই নেই।ক্রিকেট দুনিয়ায় এমন কিছু মৃত্যুর ঘটনা আছে, যা গোটা ক্রিকেট দুনিয়াকে শোকে-দুঃখে নিমজ্জিত করেছে। আকস্মিক ওই মৃত্যু-সংবাদগুলো পাথর করে দিয়েছে ক্রিকেটপ্রেমীদের। রানা-মৃদুল-সালাহউদ্দিনদের মতোই ওই মৃত্যুগুলো শোকাতুর করেছে ক্রিকেটের দুনিয়াকে। ওই মৃত্যুগুলো এমনই ছিল, যা মেনে নিতে কষ্ট হয়েছে সবার। ওই মৃত্যুগুলো কালোছায়া হয়ে এসেছে এমনই সময়—যখন তাঁর আসার কথা ছিল না। প্রথম আলো ডটকমের পাঠকদের জন্য ক্রিকেট দুনিয়ার এমন কিছু মৃত্যুর ঘটনাই আজ উপস্থাপন করা হলো:ভিক্টর ট্রাম্পারতাঁকে স্যার ডন ব্র্যাডম্যানের পরেই ‘সেরা অস্ট্রেলীয় ব্যাটসম্যান’ হিসেবে মনে করা হয়। আগের যুগের ভেজা উইকেটের ‘পণ্ডিত’ এই ব্যাটসম্যান টেস্ট ইতিহাসে প্রথমবারের মতো মধ্যাহ্নবিরতির আগে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে চারদিকে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন। শারীরিক অসুস্থতা ছিল তাঁর জন্মগতই। কিন্তু ওই অসুস্থতা যে তাঁকে ১৯১৫ সালে মাত্র ৩৭ বছর বয়সেই দুনিয়া থেকে নিয়ে যাবে, সেটা আর কে ভেবেছিল!আর্চি জ্যাকসনট্রাম্পারকে যদি ব্র্যাডম্যানের পরেই সেরা অস্ট্রেলীয় ব্যাটসম্যান বলা হয়, তাহলে আর্চি জ্যাকসনকে নাকি ‘ব্র্যাডম্যানের চেয়েও ভালো’ ব্যাটসম্যান হিসেবে অভিহিত করা হতো। ১৯২৯ সালে টেস্ট অভিষেকেই তিনি খেলেছিলেন ১৬৪ রানের দারুণ এক ইনিংস। তিনি তাঁর ক্যারিয়ারকে পূর্ণতা দিতে পারলে হয়তো ক্রিকেট ইতিহাস অন্যভাবেই লিখতে হতো বলে ধারণা অনেকের। ১৯৩৩ সালে যক্ষ্মায় আক্রান্ত হয়ে মাত্র ২৩ বছর বয়সে তিনি চলে যান পরপারে।রমন লাম্বারমন লাম্বার মৃত্যুর ঘটনার সঙ্গে জড়িয়ে আছে বাংলাদেশের নামও। এই বাংলাদেশেই ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলতে এসে মৃত্যুকে কাছে ডেকেছিলেন ভারতের সাবেক এই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। ১৯৯৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ঢাকার বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের ওই ট্র্যাজিক সকালটি বিমূঢ় করে দিয়েছিল গোটা ক্রিকেট দুনিয়াকে। ঢাকার ঘরোয়া ক্রিকেটের একটি ম্যাচে হেলমেট ছাড়া শর্টলেগে দাঁড়িয়ে ফিল্ডিং করছিলেন লাম্বা। একটি বলে ব্যাটসম্যান মেহরাব হোসেন পুল খেললে বলটি সরাসরি আঘাত করে লাম্বার মাথায়। আহত হয়ে মাঠে পড়ে যাওয়ার পর নিজেকে সামলে তিনি আবার উঠেও দাঁড়িয়েছিলেন। কিন্তু মাঠেই বমি করায় তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় ড্রেসিং রুমে। সেখানে অচেতন হয়ে গেলে তাঁকে স্থানাস্তরিত করা হয় ঢাকার একটি হাসপাতালে। সেখানে কয়েক দিন ‘ক্লিনিক্যালি ডেড’ থাকার পর তিনি ঢলে পড়েন মৃত্যুর কোলে। ক্রিকেট ইতিহাসে লাম্বার মৃত্যু আজও এক ট্র্যাজেডি হয়ে আছে। হয়তো থাকবে চিরকাল।বেন হোলিওকইংল্যান্ডের এই ক্রিকেটার অনেক প্রতিশ্রুতি নিয়ে দলে এসেছিলেন। অভিষেক ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে লর্ডসে তাঁর ব্যাট থেকে এসেছিল ৬৩ রান। কিন্তু মাত্র ২ টেস্ট আর ২০ ওয়ানডেতেই শেষ হয়ে যায় তাঁর আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার। ২০০২ সালে মাত্র ২৪ বছর বয়সে গাড়ি দুর্ঘটনায় যবনিকা ঘটে তাঁর জীবনেরও।হানসি ক্রোনিয়েক্রোনিয়ের মৃত্যুকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সবচেয়ে ‘আলোচিত’ মৃত্যু হিসেবে ধরে নিতে অত্যুক্তি নেই কারোর। প্রায় এক দশক ধরে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে তিনি ছিলেন অন্যগ্রহের এক ক্রিকেট চরিত্র। সম্মান-খ্যাতি সবকিছুই তিনি পেয়েছিলেন। প্রোটিয়া দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন সাফল্যের সঙ্গে। কিন্তু মাত্র একটি ঘটনাই তাঁর জীবনকে এলোমেলো করে দেয়। ২০০০ সালে তিনি এমন একটি বিষয়ে নিজের সম্পৃক্ততা স্বীকার করেন, যা প্রশ্নবিদ্ধ করে তাঁর নৈতিকতাকেই। ম্যাচ পাতানোয় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে তিনি হতবাক করে দেন গোটা ক্রিকেট দুনিয়াকে। এরপর ক্রিকেট থেকে বাইরেই ছিলেন মৃত্যুর আগ পর্যন্ত। ২০০২ সালে এক বিমান দুর্ঘটনায় প্রাণ হারানোর ব্যাপারটি এখনো প্রশ্ন তোলে সন্দেহপ্রবণ ক্রিকেটপ্রেমীদের অন্তরে।মানজারুল ইসলাম রানাবাংলাদেশের ক্রিকেটে খুব অল্প দিনেই প্রতিষ্ঠিত হয়ে গিয়েছিলেন মানজার রানা। ২০০৩ সালে অভিষেকের পর খেলেছিলেন ২৫টি ওয়ানডে। বাঁহাতি স্পিনার হিসেবে ২৩ উইকেট নিয়ে তিনি তাঁর ঝুলিকে সমৃদ্ধ করার পথেই ছিলেন। ৬ টেস্ট খেলে তাঁর সংগ্রহ ছিল ৫ উইকেট। কিন্তু তিনি নিজেকে পুরোপুরি মেলে ধরার আগেই মাত্র ২৩ বছর বয়সে এক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান। ২০০৭ সালের মার্চ মাসটা তাই এ দেশের ক্রিকেটের নিরন্তর এক শোকের মাসই।রুনাকো মর্টনওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে ১৫ টেস্ট আর ৫৬ ওয়ানডে খেলেছেন রুনাকো মর্টন। অনেক প্রতিশ্রুতির ক্যারিয়ারে ওয়ানডে গড় ছিল ৩৩। তবে টেস্টে নিজের প্রতিভাটা অনূদিত করতে পারেননি ভালো নৈপুণ্যে। টেস্ট গড় ছিল ২২। উজ্জ্বল ক্যারিয়ার বারবার বাধাগ্রস্ত হয়েছে মাঠের বাইরের আচরণের জন্য। ২০০২ সালের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে ডাক পেয়েও বাদ পড়েছিলেন অদ্ভুত এক কারণে। তিনি মিথ্যাচার করেছিলেন তাঁর দাদার মৃত্যু নিয়ে। ২০১০ সালে তাঁকে শেষবারের মতো ক্যারিবীয় রঙে দেখা যায়। ২০১২ সালের ৪ মার্চ মর্টন এক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান। মৃত্যুর সময় তাঁর বয়স হয়েছিল মাত্র ৩৩ বছর।আরাক হেভি ওয়াটার প্রোডাকশন প্ল্যান্ট পরিদর্শনের জন্য ৮ ডিসেম্বর জাতিসংঘের পরিদর্শক দলকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে ইরান। তেহরানের বিতর্কিত পরমাণু প্রকল্প নিয়ে সংকট নিরসনে এটি প্রথম ধাপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এর আগে গত দুই বছর ধরে বারবার অনুরোধ করার পরও আরাক হেভি ওয়াটার প্রোডাকশন প্ল্যান্ট পরিদর্শনের অনুমতি পায়নি আইএইএ পরিদর্শক দল।ভূমিকম্পে নিহত সাত: এদিকে গতকাল ইরানে উপসাগরীয় এলাকায় একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের কাছে এক ভূমিকম্পে সাতজন নিহত এবং ৩০ জন আহত হয়েছে। রয়টার্স, এএফপি।নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার সিদ্ধিরগঞ্জের একটি কারখানা থেকে ডাকাতি হওয়া মালামাল বক্তাবলী এলাকা থেকে গতকাল রোববার উদ্ধার করেছে পুলিশ।ডাকাতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁরা হলেন শহরের পাইকপাড়া এলাকার শাহাদাত হোসেন, ভূঁইয়াপাড়া এলাকার রাসেদ ও সৈয়দপুর এলাকার স্বপন।পুলিশ জানায়, গত শনিবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে একদল ডাকাত জানালার গ্রিল কেটে সিদ্ধিরগঞ্জের পাঠানটুলী এলাকার ফোর নিটওয়্যার নামের একটি পোশাক কারখানায় ঢোকে। তারা ওই কারখানার নিরাপত্তাপ্রহরীদের হাত-পা বেঁধে রেখে ২০ লাখ টাকার সুতা ও কাপড় লুট করে নিয়ে যায়। |
গণমাধ্যমসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সমিঞ্চলিত প্রয়াসে ২০১০-১১ সালে অ্যাসিড-সন্ত্রাস কিছুটা কমেছিল। এর পর থেকে দেশে অ্যাসিড-সন্ত্রাসের ঘটনা বাড়ছে। ২০১২ সালে ৭১টি ঘটনায় ৯৮ জন ও চলতি বছরের প্রথম পাঁচ মাসে ২৫টি ঘটনায় ৩৩ জন অ্যাসিড-সন্ত্রাসের শিকার হয়।ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের প্রধান সমন্বয়কারী ও প্লাস্টিক সার্জন সামন্ত লাল সেন গতকাল শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল মিলনায়তনে এক সংবাদ সমেঞ্চলনে এসব কথা বলেন।সামন্ত লাল বলেন, অ্যাসিডে আক্রান্ত বা যেকোনো পোড়া রোগীকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে উন্নত চিকিৎসা দিতে না পারলে সারিয়ে তোলা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কঠিন হয়ে পড়ে। এ জন্য জেলা পর্যায়ের চিকিৎসকদের এ বিষয়ে সম্যক ধারণা থাকতে হবে।সংবাদ সমেঞ্চলনে প্লাস্টিক সার্জন রবিউল করিম খান বলেন, রোগীর অ্যাসিডে আক্রান্ত স্থানে বেশি করে পানি ঢালতে হবে। মামলার জন্য আক্রান্ত রোগীর আলামত সংগ্রহ করতে হবে।এর আগে ঢাকা মেডিকেল কলেজ বার্ন ইউনিট, উন্নয়ন সংস্থা স্বদেশ ও অ্যাকশন এইড যৌথভাবে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল মিলনায়তনে অ্যাসিড সারভাইভারদের উন্নত চিকিৎসাবিষয়ক এক প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়।আগামী ১ নভেম্বর শুক্রবার বাদ জুমা বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর ফটকে বিক্ষোভ সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে হেফাজতে ইসলাম ঢাকা মহানগর কমিটি।আজ বুধবার সকালে রাজধানীর বারিধারা মাদ্রাসায় সংগঠনের ঢাকা মহানগর কমিটির আহ্বায়ক নূর হোছাইন তাসেমী এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নূর হোছাইন তাসেমী বলেন, ‘হেফাজতে ইসলামের আমীর শাহ আহমদ শফী সারা দেশে এ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে ঢাকায় এ কর্মসূচি পালনের চেষ্টা করব।’পুলিশ সমাবেশের অনুমতি না দিলে কী করবেন—এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা সমাবেশের অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছি। এর পরও পুলিশ সমাবেশে বাধা দিলে ওই সময় আলোচনা করি সিদ্ধান্ত নেব।’সংবাদ সম্মেলনে কওমি মাদ্রাসার ‘অস্তিত্ব বিপন্নকারী’ বাংলাদেশ কওমি শিক্ষা কর্তৃপক্ষ আইন-২০১৩ পাশ না করা ও হেফাজতের আমীর আহমদ শফীর বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও কুত্সা রটনা থেকে বিরত থাকতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান ঢাকা মহানগর কমিটির আহ্বায়ক নূর হোছাইন তাসেমী।সংবাদ সম্মেলনে হেফাজতে ইসলামের ঢাকা মহানগরের যুগ্ম- আহ্বায়ক মাওলানা আবদুল হামিদ, মুফতি ফয়জুল্লাহ, জাফরুল্লাহ খান, জুনায়েদ আল-হাবীব, মাহফুজুল হক, আব্দুল রব ইউসুফী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।বান্দরবানের আলীকদম উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি জামাল উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক দুংহ্রী মং মারমার বাসভবন লক্ষ্য করে গত বুধবার দিবাগত রাতে ককটেল নিক্ষেপ করা হয়েছে।দুংহ্রী মারমা জানান, রাত পৌনে তিনটার দিকে বিকট আওয়াজে তাঁদের ঘুম ভেঙে যায়। বাইরে এসে দেখতে পান, লাল স্কচটেপে বাঁধা বোমাসদৃশ বস্তু পড়ে রয়েছে। পরে জানা যায়, জামাল উদ্দিনের বাসভবনেও দুটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটেছে।একটা সিরিজ কত কিছুই বদলে দিতে পারে! এই বছরই অস্ট্রেলিয়াকে ৩-০ ব্যবধানে হারিয়ে যখন ভস্মাধারটা উঁচু করে ধরেছিলেন, অ্যালিস্টার কুক কি তখন ভেবেছিলেন মাস চারেক পরই তাঁকে প্রশ্ন শুনতে হবে—অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেওয়ার কথা ভাবছেন কি?কুকের ভাবার কথা নয়, হয়তো ভাবেননি কোনো ইংলিশ সমর্থকই। কিন্তু মেলবোর্নে চতুর্থ দিন শেষ হওয়ার আগেই যখন ইংল্যান্ড আরও একবার অসহায় আত্মসমর্পণ করল অস্ট্রেলিয়ার কাছে, ম্যাচ-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে ধেয়ে এল প্রশ্নটা। মনে মনে হয়তো প্রস্তুত ছিলেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক। তাই রাখঢাক না করেই জবাব, ‘অধিনায়ক হিসেবে আমাকে তো অবশ্যই দায়দায়িত্ব নিতে হবে। যদি সিরিজ শেষে নির্বাচকেরা মনে করেন আমি আর এ কাজের যোগ্য নই তাহলে তা-ই হবে।’ তবে নিজে থেকে যে অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেওয়ার ইচ্ছে নেই সেটা বেশ স্পষ্টই করে দিয়েছেন কুক, ‘এটা আমার জন্য খুব দুঃখজনক হবে। আমার ছাড়ার কোনো ইচ্ছে নেই। আমি সবকিছু দিয়ে চেষ্টা করছি আমার এক শ টেস্ট খেলার অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে দলকে সাহায্য করতে। হয়তো কঠিন পরিশ্রম আর পারফরম্যান্স দুটো মিলে গেলে আমরা আবার ছন্দে ফিরে আসব।’হয়তো আসবে। কিন্তু সেই সময়টায় কুকই অধিনায়ক থাকবেন—এটা এখন আর নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। মেলবোর্নে হারের পর শুধু তাঁকে নয়, দলের কোচ অ্যান্ডি ফ্লাওয়ারকেও সরিয়ে দেওয়ার দাবি তুলেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম। ২০০৯ সালে কোচ হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর এই ফ্লাওয়ারই তিনটি অ্যাশেজ জিতিয়েছেন ইংল্যান্ডকে, এনে দিয়েছেন ২০১০ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা, তাঁর তত্ত্বাবধানেই তিন ধরনের ক্রিকেটে শীর্ষস্থানে উঠেছিল ইংল্যান্ড। তবে এবারের অ্যাশেজের ফল দেখে সমালোচকদের ধারণা, ইংল্যান্ড ক্রিকেটকে যেটুকু দেওয়ার ছিল তা দেওয়া হয়ে গেছে সাবেক এই জিম্বাবুইয়ান ক্রিকেটারের। নতুন চিন্তাভাবনা আর নতুন দর্শনের একজনের হাতে এবার দায়িত্ব তুলে দেওয়ার সময় বলে মনে করছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম। প্রতিপক্ষের অধিনায়ক ও কোচ যখন এ রকম খড়্গের নিচে, তখন হাওয়ায় উড়ছেন অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্ক ও ড্যারেন লেম্যান। আগের তিন জয়ে সিরিজ নিশ্চিত হয়ে গেলেও মেলবোর্নের চতুর্থ জয়টার আলাদা গুরুত্ব ক্লার্কের কাছে, ‘অনেকে হয়তো ভেবেছিলেন সিরিজ নিশ্চিত হয়ে যাওয়ায় আমাদের জয়ের ইচ্ছেটা কমে গেছে। সিরিজে এই প্রথমবার আমরা ওদের চেয়ে খারাপ অবস্থানে চলে গিয়েছিলাম। কিন্তু আমরা দেখিয়েছি, আমাদের জয়ের ক্ষুধাটা শেষ হয়ে যায়নি।’এই ক্ষুধা থাকলে ৫-০ হওয়া ঠেকাবে কে? এএফপি, রয়টার্স। |
দম্পতিদের কাছে তাঁদের বিয়ের তৃতীয় বছরটি সবচেয়ে আনন্দময়। তখন তাঁরা পরস্পরের অপূর্ণতার বিষয়টি মেনে নিয়েই সুখী সহাবস্থানের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে শুরু করেন। আর সম্পর্ককে দৃঢ় রূপ দেওয়ার লক্ষ্যে সন্তান গ্রহণের মতো যৌথ সিদ্ধান্তগুলোও তখনই পরিণতি পায়। অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নভিত্তিক আইনি প্রতিষ্ঠান ‘স্ল্যাটার অ্যান্ড গর্ডন’ দুই হাজার বিবাহিত নারী-পুরুষের ওপর পরিচালিত গবেষণার ভিত্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে। গবেষকেরা ওই দম্পতিদের প্রাথমিক পরিচয়-পরবর্তী এক বছর এবং বিবাহ-পরবর্তী জীবনযাত্রার তথ্য-উপাত্তের তুলনামূলক বিশ্লেষণ করেন। পারিবারিক আইন বিশেষজ্ঞরা আধুনিক দাম্পত্য জীবনের বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখেন। এতে দেখা যায়, বিয়ের তৃতীয় বছরে পৌঁছার পর পারিবারিক আর্থিক বিষয়গুলোও একটি স্থিতিশীল রূপ নিতে শুরু করে এবং উভয়ের (স্বামী-স্ত্রী) সমন্বিত উপার্জন ও ব্যয়ের মাধ্যমে সংসারে একধরনের সুখ বিরাজ করে। তবে বিয়ের পঞ্চম বছরটি অতিক্রম করাটা দম্পতিদের জন্য সম্ভবত কঠিন হয়ে পড়ে। কারণ, দাম্পত্যে তখন একধরনের ক্লান্তি চলে আসার আশঙ্কা থাকে। কাজের চাপ এবং সন্তান সামলানোর মতো বাড়তি দায়িত্বগুলোও তখন শুরু হয়ে যায়। টেলিগ্রাফ।হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা তার বাঁশির জাদুতে ইঁদুর তাড়িয়ে ভয়াবহ উপদ্রব থেকে রক্ষা করেছিল নগরবাসীকে। সেটা বহুল পঠিত কল্পকাহিনি। কিন্তু ১৪ বছরের কিশোরী নির্মলা তপ্পো যা করেছে, তা বাস্তবে ঘটা এর চেয়েও বিস্ময়কর কাণ্ড! সে তাঁর সহজাত গুণ দিয়ে বন্য হাতির তাণ্ডব থেকে রক্ষা করেছে একটি জনপদের একদল অসহায় মানুষকে।ভারতের ওডিশা রাজ্যের এই কিশোরী স্থানীয় পর্যায়ে রীতিমতো ছোটখাটো তারকাখ্যাতি পেয়ে গেছে। নির্মলাকে কেউ বলে ‘হাতিকন্যা’, আবার কারও কাছে সে ‘লেডি টারজান’। কীভাবে, কোন সম্মোহনী শক্তি দিয়ে এই কিশোরী বন্য হাতির পালকে বনে পাঠাতে সক্ষম হলো, তা নিয়ে আজ বুধবার একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বিবিসি অনলাইন। বন বিভাগের কর্মকর্তা পি কে ঢোলার বরাত দিয়ে খবরে বলা হয়েছে, ওডিশা রাজ্যের শিল্পনগর রুরকেলায় গত জুনে এক রাতে আচমকা ঢুকে পড়ে একদল বন্য হাতি। সংখ্যায় ছিল ১১। আতঙ্কে অস্থির আশপাশের সবাই। বন বিভাগের স্থানীয় কর্মীরা অনেক কসরত করে হাতির পালকে স্থানীয় ফুটবল খেলার মাঠে নিতে সক্ষম হন। তবে কিছুতেই তাদের বনে ফেরত পাঠাতে পারছিলেন না তাঁরা। এ কাজের জন্য তাঁরা ডেকে আনেন পার্শ্ববর্তী রাজ্য ঝাড়খণ্ডের ১৪ বছর বয়সী আদিবাসী কিশোরী নির্মলাকে। তাঁদের হতাশ করেনি নির্মলা। তাকে অনুসরণ করে হাতির পাল পৌঁছে গেছে বনে। পুরস্কার হিসেবে রাজ্য সরকার তাকে অর্থও দিয়েছে।বন বিভাগের কর্মকর্তা পি কে ঢোলা বলেন, ‘আমরা জানতাম ঝাড়খণ্ডের আদিবাসী এক কিশোরী হাতির সঙ্গে কথা বলতে পারে। পারে তাদের বনে ফিরিয়ে নিতে। খবর দিলে সে তার বাবা ও প্রতিবেশীদের নিয়ে ঘটনাস্থলে আসে।’কঠিন কাজটি কীভাবে করেছে, জানতে চাইলে রোমান ক্যাথলিক অনুসারী নির্মলা বলে, ‘আমি হাতির পালের সঙ্গে স্থানীয় আদিবাসী ভাষা মুন্দারিতে কথা বলেছি। প্রথমে আমি প্রার্থনা করেছি, পরে বন্য হাতির দলের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা আমার ভাষা বুঝতে পেরেছে। আমি তাদের বলেছি, এটা তোমাদের বাড়ি না। যেখানে তোমাদের বাড়ি, সেখানেই তোমাদের চলে যাওয়া উচিত।’নির্মলা জানাল, বন্য হাতির হামলায় তার মায়ের মৃত্যু হয়। লোকালয় থেকে হাতি তাড়ানোর কৌশল শেখার সিদ্ধান্ত নেয় সে। ওই দিন সে, তার বাবা ও প্রতিবেশীরা মাঠে গিয়ে হাতির পালকে ঘিরে ফেলে। এরপর সে হাতির পালের কাছে যায় এবং কথা বলে।হাতি তাড়াতে নির্মলার এই পদ্ধতির সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেছেন ওডিশাভিত্তিক সমাজকর্মী রবি প্রধান। তিনি বলেন, হাতি মানুষের ভাষা বুঝতে পারে, এর কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই।ঝাড়খণ্ডের সিমডেগার জেলা কাউন্সিলের সদস্য নেইল জাস্টিন বিক বলেন, ‘বন্য প্রাণীদের সঙ্গে সহাবস্থানের কারণে আদিবাসীরা জানে কীভাবে তাদের সঙ্গে আচরণ করতে হয়। নির্মলাকে আমরা “লেডি টারজান” বলে ডাকি।’ওই দিন হাতির পালকে বনে ফেরত পাঠাতে গিয়ে অনেকখানি রাস্তা হেঁটে পায়ে ক্ষত হয় নির্মলার। পরে এতে সংক্রমণ ছড়ায়। বর্তমানে সে স্থানীয় রেডক্রস সোসাইটির তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন রয়েছে।সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট নোয়াখালী সরকারি কলেজ শাখার আহ্বায়ক আনোয়ারুল হক ওরফে পলাশের (২৪) ওপর হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে জেলা শহরের বিশ্বনাথ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।গুরুতর আহত আনোয়ারুল হককে উদ্ধার করে নোয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হামলায় আনোয়ারুলের মাথা ফেটে যায় এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম হয়।আহত আনোয়ারুল সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তিনি বিশ্বনাথ এলাকার বাসিন্দা এক কলেজ সহপাঠীকে নিয়ে স্থানীয় একটি চায়ের দোকানে কথা বলছিলেন। হঠাৎ শিবিরের ১৪-১৫ জন কর্মী তাঁকে দোকান থেকে বাইরে এনে রড দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে আহত করে।তবে, ছাত্রফ্রন্ট নেতার ওপর হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেন ছাত্রশিবিরের নোয়াখালী শহর শাখার সভাপতি নেয়ামতউল্লাহ শাকের। প্রথম আলোকে বলেন, শিবির কর্মীরা অবরোধ কর্মসূচি বাস্তবায়নে ব্যস্ত ছিল। আনোয়ারুলের ওপর কারা হামলা চালিয়েছে তা তাঁর জানা নেই।নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলায় সোনাকান্দা ডকইয়ার্ডে গ্যাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়ে এক শ্রমিক নিহত ও অপর চারজন আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে এ ঘটনা ঘটে।নিহত ব্যক্তির নাম মামুন (৩২)। আহত চারজন হলেন শিপন, মেম্বার, হায়দার ও রহিম। পুলিশ জানায়, সোনাকান্দা এলাকায় অবস্থিত নৌবাহিনী পরিচালিত ওই ডকইয়ার্ডে সকাল ১০টার দিকে শ্রমিকেরা ঝালাইয়ের কাজ করার সময় গ্যাসের একটি সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়। এতে মামুনসহ পাঁচ শ্রমিক আহত হন। পরে তাঁদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মামুন মারা যান।বন্দর থানার ওসি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। |
প্রথম আলোয় ২৫ সেপ্টেম্বর ‘অ্যাপোলোর বিরুদ্ধে রংপুর সিটি মেয়রের অভিযোগ’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের ব্যাখ্যা দিয়েছে ঢাকার অ্যাপোলো হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।প্রথম আলো কার্যালয়ে পাঠানো লিখিত ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, ‘রোগী (রংপুরের মেয়র) সড়ক দুর্ঘটনায় মারাত্মকভাবে আহত হয়ে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে ইনজুরি নিয়ে অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসেছিলেন। এ সময় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁকে গুরুত্ব দিয়ে ইমার্জেন্সি সেবা ও পরবর্তীতে বিভিন্ন ধাপে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিয়েছে এবং তিনি সুস্থ অবস্থায় হাসপাতাল থেকে ডিসচার্জ গ্রহণ করেন।’এতে আরও উল্লেখ করা হয়, ‘শারীরিক অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে এবং চিকিৎসা ব্যবস্থাপনার বিবেচনায় রোগীর চিকিৎসা ব্যয় যথাযথ ছিল।’সুন্দরবনে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) একটি টহল দলের সঙ্গে বনদস্যু বাহিনীর ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুজন নিহত হয়েছে। আজ বুধবার সকালে সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের শেলা নদীর পূর্ব পার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।র্যাব জানায়, নিহত দস্যুরা হলেন সুন্দরবনের মোর্তুজা বাহিনীর প্রধান মোর্তুজা হোসেন রানা (৩২) ও তাঁর সহযোগী মোশারেফ শেখ (৩০)। স্থানীয় জেলেরা প্রাথমিকভাবে লাশ দুটি শনাক্ত করেন। মোর্তুজা বাগেরহাটের মংলা উপজেলার জয়মনি গ্রামের ও মোশারেফ একই উপজেলার জয়মনির ঘোল গ্রামের বাসিন্দা।ঘটনা সম্পর্কে র্যাব-৮-এর উপ-অধিনায়ক মেজর মো. আনোয়ারুল কবীরের ভাষ্য, গতকাল মঙ্গলবার সুন্দরবনের শেলা নদী এলাকা থেকে অন্তত পাঁচ জেলেকে বনদস্যুরা মুক্তিপণের দাবিতে অপহরণ করেছে—এমন সংবাদের ভিত্তিতে আজ সকাল পৌনে আটটার দিকে র্যাব-৮-এর একটি দল সেখানে টহলে যায়। এ সময় বনদস্যুরা র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। র্যাবও পাল্টা গুলি ছোড়ে। প্রায় ৩৫ মিনিট গুলিবিনিময়ের পর বনদস্যুরা পিছু হটলে র্যাব ওই এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে দুজনের লাশ উদ্ধার করে। এ সময় ১৫টি আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়। লাশ ও উদ্ধার করা আগ্নেয়াস্ত্র বাগেরহাটের মংলা থানায় নেওয়া হচ্ছে।‘মভেম্বর’ আন্দোলনের ছোঁয়া বাংলাদেশে এখনো লাগেনি। তবে মাশরাফি বিন মুর্তজার মনে ঠিকই লেগেছে! ঠিক সরাসরি অবশ্য নয়, লেগেছে মভেম্বর-এ শরিক একজনের ছোঁয়া। পুরুষদের ক্যানসার সচেতনতায় প্রতিবছর নভেম্বর মাসে বিশ্বের অনেক জায়গায় গোঁফ বড় রাখেন অনেকেই। ‘মুসট্যাস’ আর ‘নভেম্বর’ মিলিয়ে মভেম্বর। এ বছর মভেম্বরে অংশ নিচ্ছেন মিচেল জনসন। গোঁফওয়ালা জনসন ব্রিসবেনে উড়িয়ে দিয়েছেন ইংল্যান্ডকে। এতেই অনুপ্রাণিত হয়ে মাশরাফি গোঁফ রেখে দিয়েছেন জনসনের মতো। জনসনের মতো পুরুষ্ট হয়নি এখনো, যদিও ডিজাইন একই। তবে মভেম্বর-টভেম্বর নয়, জনসনকে অনুকরণের কারণটা নিজের মতো করেই বললেন মাশরাফি, ‘লিগে উইকেট-টুইকেট পাচ্ছি না তো, ভাবলাম জনসনের মতো গোঁফ রেখে দেখি ভাগ্য খোলে কি না!’বড়দিনে একটা ‘উপহার’ পেয়েছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। পরশু দুবাইতে গ্লোব সকার অ্যাওয়ার্ডের বর্ষসেরা ফুটবলার নির্বাচিত হয়েছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। পর্তুগিজ ক্রীড়া পত্রিকা আ বোলাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বললেন ব্যালন ডি’অর জয়ের সম্ভাবনা, নিজের পারফরম্যান্সসহ প্রিয়-অপ্রিয় অনেক কিছু নিয়েই। ব্যালন ডি’অরআমি জানি না, এ বছর এটা আমার প্রাপ্য কি না। ছয় বছর ধরেই আমি মঞ্চে আছি। ফিফপ্রো বিশ্ব একাদশে এ নিয়ে সপ্তম বা অষ্টমবারের মতো আমি আছি। এটা কোনো কাকতাল নয়, এটা সাম্প্রতিক বছরগুলোয় আমার ধারাবাহিকতারই প্রকাশ। সংখ্যাই এখানে কথা বলছে। কিছু ক্ষেত্রে আমি যা করেছি সেটা ব্যক্তিগত পুরস্কারের জন্য যথেষ্টই ছিল।কিন্তু এটা কি আমি পাওয়ার যোগ্য? হয়তো, যেমনটা ছিলাম গত বছর বা আগের দুই বছরে। আমি মনে করি প্রতিবছরই আমি এটা পেতে পারতাম, আমি আসলে সব সময়ই জিততে চাই। কিন্তু কখনো আপনি জিতবেন, কখনো হারবেন। ব্যাপারটা এমনই।চুক্তি নবায়নআমি মাদ্রিদেই থাকতে চেয়েছি। আর কেন ছাড়ব? এটা তো বিশ্বের সেরা ক্লাবই। আমি এখানে ভালোই আছি। দর্শক, সভাপতি, ক্লাব—সবাই আমাকে ভালোবাসে। আরও কিছু ব্যাপার ছিল (টাকা ছাড়াও), মাদ্রিদে আমি কী জিততে পারি, সে জন্যই আমরা একটা চুক্তিতে পৌঁছেছিলাম। আমি মনে করি এটাই সেরা ক্লাব।মাদ্রিদের ‘ক্রিস্টিয়ানো নির্ভরতা’সেরাদেরই দলের ওপর একটা বড় প্রভাব থাকে। কারণ তারা মাঠে ব্যবধান গড়ে দিতে পারে। দলের প্রয়োজনের মুহূর্তেই সেটা তারা করতে পারে। আমি মনে করি না আমি নিজের কাঁধে দলের ভার বইছি। মাদ্রিদ একজনের ওপর নির্ভর করতে পারে না, করেও না। আমি মনে করি রিয়াল মাদ্রিদ কারও ওপর নির্ভরশীল নয়। এটা অনেক গ্রেট খেলোয়াড় নিয়ে ভালো একটা দল।উন্নতিআমি একজন উচ্চাকাঙ্ক্ষী মানুষ। এমন একজন যে সব সময় সেরাটা চায়, শিখতে ভালোবাসে, নিজের একটা উচ্চমান ধরে রাখতে চায়। স্পষ্টতই প্রতিবছরই আমি আরও পরিণত হচ্ছি, আরও অভিজ্ঞ হচ্ছি। যেটা আমার জন্য ও আমার ক্লাব বা দেশের জন্য ভালো। প্রতিবছরই চ্যালেঞ্জ থাকে এবং তাড়নাও থাকে আমার। জয়ের ধারাজয়ের শক্তিটা আমার নিজের ভেতর থেকে এবং পরিবারের কাছ থেকে পাই। যেভাবে আমি বেড়ে উঠেছি সেটাও অনেক গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। আগেই বলেছি আমার উচ্চাকাঙ্ক্ষা অনেক। দল বা দেশের জন্য যেটা সবচেয়ে ভালো সেটাই আমি সব সময় চাই।লা লিগা উন্মুক্তবার্সেলোনা ও অ্যাটলেটিকো আমাদের চেয়ে ধারাবাহিক ছিল। কিন্তু লিগ অনেক লম্বা, শেষে কী হলো সেটাই গুরুত্বপূর্ণ। অবশ্যই আমরা লিগের শেষে সবার ওপরে থাকতে চাই, কিন্তু বার্সেলোনা ও অ্যাটলেটিকো যেমন খেলছে তাতে তাদের কৃতিত্ব দিতেই হবে। দারুণ একটা মৌসুম কাটাচ্ছে তারা। আশা করছি, লিগ এখনো শেষ হয়ে যায়নি। শেষ পর্যন্ত মাদ্রিদই জিতবে।নিজেকে নিয়ে সমালোচনা আগে এতে আমি বিরক্ত হতাম। এখন হই না। আমার এখন ২৮ বছর, ফেব্রুয়ারিতে ২৯ হবে। আমার একটা ছেলে আছে। সমালোচনা নিয়ে মাথা ঘামানোর সময় আমার নেই। আমি এ রকমই, মানুষ এটা পছন্দ করুক আর না-করুক। মাঝেমধ্যে ফুটবলে ইচ্ছার বিরুদ্ধেও আপনাকে অনেক কিছু করতে হয়, যাতে মানুষ আপনাকে নিয়ে ভালো ভালো কথা বলে। আমি যা করি আমি আসলে তেমনই। আমার লক্ষ্য নিজের মানটা ঠিক রাখা। একজন ভালো পেশাদার হওয়া।নিজের ‘ঔদ্ধত্য’ নিয়ে... আমি এসব নিয়ে আর মাথা ঘামাই না। মানুষ কী বলছে সেটা আমি কানে তুলি না। আমি নিজের বিবেকটা পরিষ্কার রেখেই প্রতিদিন ঘুমাতে যাই। আমি একজন ভালো মানুষ। কে কী বলল তাতে এটা মিথ্যা হয়ে যাবে না।বেল প্রসঙ্গেসে খুব দ্রুত খাপ খাইয়ে নিচ্ছে। কিছু সমস্যা হয়তো তার হচ্ছে, কারণ সে প্রাক-মৌসুমে ঠিকমতো খেলতে পারেনি। তার ওপর চাপ ছিল অনেক। ভাষাটাও একটা সমস্যা, কিন্তু সে দেখাতে পেরেছে আমাদের জন্য সে কতটা দরকারি। |
চীনে ভিমরুলের আক্রমণে অন্তত ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহত হয়েছে আরও কয়েক শ মানুষ। ভিমরুলের উপদ্রব থেকে রক্ষা পেতে নাগরিকদের মাঠ ও অরণ্যের ভেতর দিয়ে হাঁটাচলা করতে নিষেধ করেছে কর্তৃপক্ষ। ধারণা করা হচ্ছে, বড় আকারের এশীয় ভিমরুল এই আক্রমণ করছে। প্রায় দুই ইঞ্চি পর্যন্ত লম্বা প্রাণীটির হুল খুবই বিষাক্ত। এরা ঘণ্টায় ২৫ কিলোমিটার বেগে এক দিনে ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত উড়তে পারে। সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট পত্রিকা জানায়, সম্প্রতি শানঝি প্রদেশে এই ভিমরুলের উপদ্রব বেশি দেখা দেয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ওই এলাকায় উষ্ণ আবহাওয়া ভিমরুলের প্রজননের পক্ষে অনুকূল। শ্রমিকেরা অপেক্ষাকৃত প্রত্যন্ত অঞ্চলে কাজ করতে গিয়ে ভিমরুলের কবলে পড়ছেন। লাইভসায়েন্স।আইনের ফাঁকফোকর গলে কর ফাঁকি দিতে গিয়ে চীনে বিবাহবিচ্ছেদের সংখ্যা বাড়ছে। গতকাল মঙ্গলবার দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের খবরে এ তথ্য জানানো হয় বলে কয়েকটি সংবাদ সংস্থা জানায়।গত মার্চে চীন সরকার কোনো দম্পতির আবাসিক সম্পত্তির বিক্রয়মূল্যের লভ্যাংশের ওপর ২০ শতাংশ কর আরোপ করে। তবে ওই আইনে থেকে যায় কিছুটা ফাঁকফোকর। যেমন—কোনো দম্পতির দুটি বাড়ি রয়েছে। বিচ্ছেদের পর তাঁরা প্রত্যেকে একটি করে বাড়ি নিজেদের নামে ভাগ করে নেন। আর তখন তাঁরা কিছু শর্ত সাপেক্ষে কর দেওয়া ছাড়াই ওই সম্পত্তি বিক্রি করতে পারবেন। পরে বিচ্ছেদ ঘটানো ওই দুজন আবার বিয়ে করতে পারেন।সরকারি হিসাবের বরাত দিয়ে বেইজিং ইয়ুথ ডেইলির প্রতিবেদনে জানানো হয়, করের এ বোঝা এড়াতে চলতি বছরের প্রথম নয় মাসে রাজধানী বেইজিংয়ে প্রায় চার হাজার দম্পতির বিবাহবিচ্ছেদ ঘটেছে; যা গত বছরের ওই সময়ের তুলনায় ৪১ শতাংশ বেশি। একইভাবে সাংহাইয়ে একই সময় এই বিচ্ছেদের সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৪০ শতাংশ। তবে চংকিং মহানগরে এই আইন এখনো চালু না হওয়ায় সেখানে বিবাহবিচ্ছেদের সংখ্যা বেড়েছে ৭ শতাংশ।প্রতিবেদনে জানানো হয়, গত চার বছরের তুলনায় বিচ্ছেদের সংখ্যা ‘অনেক বেড়েছে’।বেইজিংয়ে সাবেক সিভিল অ্যাফেয়ার্স কর্মকর্তা ও বিবাহবিষয়ক বিশেষজ্ঞ লি জিওয়ি বলেন, বিচ্ছেদের সংখ্যা দ্রুত বেড়ে যাওয়ার পেছনে করের বিষয়টি রয়েছে। সরকারি আইনের ফাঁকফোকরের সুবিধা নিতে গিয়ে অনেকে নিজেদের সম্পর্কের ইতি টানছেন।’আজ চল্লিশে পা দিচ্ছেন রায়ান গিগস। চ্যাম্পিয়নস লিগে আরেকটি ম্যাচ খেললেই ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড তারকা জায়গা করে নেবেন ১০ জনের সংক্ষিপ্ত এক তালিকায়। তালিকাটা চল্লিশের বেশি বয়সে চ্যাম্পিয়নস লিগ খেলা ফুটবলারদের। যেখানে সবার ওপরে আছে ইতালির মার্কো বাল্লোত্তার নাম। ২০০৭ রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে খেলার দিন লাৎসিওর এই গোলরক্ষকের বয়স হয়েছিল ৪৩ বছর ২৫৩ দিন। এরপরই আছে আরেক ইতালি ও এসি মিলান তারকা আলেসান্দ্রো কোস্তাকুর্তার নাম (৪০ বছর ২১৩ দিন)। বয়োজ্যেষ্ঠ দশের পাঁচজনই গোলরক্ষক।ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা শহরের গোবিন্দগঞ্জ হাইস্কুল মার্কেটের সামনে ট্রাকচাপায় গতকাল রোববার দুপুরে সেনাবাহিনীর ল্যান্স করপোরাল সুলতান মাহমুদ (৩৬) নিহত হয়েছেন।সুলতান বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার গাংনগর গ্রামের সামছুল আলমের ছেলে। তিনি যশোর ক্যান্টনমেন্টে কর্মরত ছিলেন। কয়েক দিন পর তাঁর জাতিসংঘ মিশনে যাওয়ার কথা ছিল।পুলিশ ও পারিবারিক সূত্র জানায়, গতকাল বেলা একটার দিকে সুলতান মোটরসাইকেলে করে গোবিন্দগঞ্জে এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে শিবগঞ্জে ফিরছিলেন। পথে হাইস্কুল মার্কেটের সামনে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাক তাঁকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। এ ঘটনায় অপর একজন আহত হন। পুলিশ ট্রাকচালককে আটক করেছে। |
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধনের যে প্রস্তাব অনুমোদন করেছে, তাতে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ক্ষমতা বাড়বে না। দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন করতে গেলে ইসির ক্ষমতা বৃদ্ধি জরুরি। জাতীয় প্রেসক্লাবে গতকাল সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে একথা বলা হয়।সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সুজনের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার। তিনি বলেন, বর্তমান কমিশনের নিরপেক্ষতা ও কার্যকারিতা নিয়ে অনেকের মনে গুরুতর প্রশ্ন রয়েছে। তারা নির্বাচনের প্রস্তুতিমূলক কাজে পিছিয়ে আছে। হলফনামার বিদ্যমান ছকটি অসম্পূর্ণ ও অকার্যকর। এটিতে পরিবর্তন আনা দরকার। কিন্তু এ সম্পর্কে কমিশনের কোনো উদ্যোগ নেই।বদিউল আলম মজুমদার আরও বলেন, নির্বাচন কমিশন নির্বাচনী ব্যয় পর্যবেক্ষণের জন্য প্রস্তাব করেছিল। কিন্তু আইন মন্ত্রণালয় তা মন্ত্রিসভায় পাঠায়নি। প্রার্থীদের ব্যয় পর্যবেক্ষণের শক্তিশালী ব্যবস্থা না থাকলে নির্বাচনে কালোটাকার দৌরাত্ম্য অব্যাহত থাকবে।এক প্রশ্নের জবাবে বদিউল আলম মজুমদার বলেন, বর্তমানে নির্বাচনী অপরাধের চরিত্র বদলে গেছে। নির্বাচনের দিন কোনো সহিংসতা হয় না। নির্বাচনের আগেই বাড়ি বাড়ি গিয়ে সন্ত্রাসীরা প্রভাব বিস্তার করে। এদের দমন করতে হলে ইসিকে শক্তিশালী করতে হবে।অনুষ্ঠানের সভাপতি এম হাফিজউদ্দিন খান বলেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য পুলিশ ও আনসারের পাশাপাশি সেনা মোতায়েন আবশ্যক।সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এ এস এম শাহজাহান বলেন, গণতন্ত্র মানে কিছু লোককে ক্ষমতায়িত করা নয়, বরং সব মানুষকে ক্ষমতায়িত করা। বর্তমানে দেশে আইন আছে, শাসন আছে, কিন্তু আইনের শাসন নেই। এ অবস্থার পরিবর্তন দরকার।বিচারপতি কাজী এবাদুল হক বলেন, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী করা দরকার। কমিশনারদের ভয় পাওয়ার কিছু নেই, কারণ তাঁরা সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করছেন। তাই তাঁদের মেরুদণ্ড খাড়া করে দাঁড়ানো উচিত।‘না’ ভোটের বিধান পুনরায় চালুর দাবি জানিয়ে গণস্বাস্থ্য হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, প্রার্থীদের আয়-ব্যয়ের হিসাব জনগণের সামনে উন্মুক্ত করা উচিত। এতে দুর্নীতি কমে আসবে।ফিলিস্তিন-ইসরায়েল শান্তি আলোচনার অংশ হিসেবে আজ বুধবার সকালে ২৬ জন ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দিয়েছে ইসরায়েল। এদের মধ্যে ২১ জন পশ্চিমতীর ও পাঁচজন গাজা সীমান্ত দিয়ে আজ ভোরে ফিলিস্তিনে প্রবেশ করে। টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে এ কথা জানানো হয়।খবরে বলা হয়, দুই দেশের মধ্যে চলমান শান্তি আলোচনার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ইসরায়েলের কারাগারে আটক ফিলিস্তিনি বন্দীদের চার দফায় মুক্তি দেওয়ার কথা তেল আবিবের। এর অংশ হিসেবে চলতি বছরের আগস্ট মাসে প্রথম দফায় ২৬ বন্দীকে মুক্তি দেওয়া হয়। দুই মাস পর আজ আবারও দ্বিতীয় দফায় ২৬ জনকে মুক্তি দেওয়া হলো।বন্দীদের মুক্তি দেওয়ায় ফিলিস্তিনবাসী আনন্দিত হলেও ইসরায়েলিরা এ উদ্যোগকে স্বাভাবিকভাবে মেনে নিতে পারছে না। ইসরায়েলিদের দাবি, মুক্তি পাওয়া বন্দীরা ‘ভয়াবহ অপরাধ’ ঘটাচ্ছে।ইসরায়েলের কারাগারে আটক আরও ১০৪ জন বন্দীকে শিগগিরই মুক্তি দেওয়া হবে বলে জানা গেছে।কাল দুপুরে সক্রিয় হয়ে উঠলেন বাফুফের কর্মীরা। নানা দিকে ফোন করা শুরু করলেন, বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে বিকেলের ম্যাচটা হচ্ছে না! ওটা পেছানো হয়েছে। ফেডারেশন কাপে কাল প্রথম কোয়ার্টার ফাইনালে মুখোমুখি হওয়ার কথা ছিল শেখ জামাল ও মোহামেডানের। কিন্তু অবরোধের কারণে মাঠে পর্যাপ্ত পুলিশ দিতে পারবে না পুলিশ প্রশাসন, এটা নাকি পুলিশ প্রশাসন থেকে জানানো হয়েছে। এ কারণে নিরাপত্তার কথা ভেবে ম্যাচটা আজ বিকেল ৫টায় শুরুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাফুফে। শেষ আটের চারটি ম্যাচই এক দিন করে পেছাচ্ছে এখন।মোহামেডানের মিসরীয় খেলোয়াড় মোস্তফার ছাড়পত্র না আসায় নাকি খেলা পেছানো হয়েছে মোহামেডানের চাপে—এমন একটা গুঞ্জন ছিল ফুটবল অঙ্গনে। তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেল, গত পরশু মোস্তফার আন্তর্জাতিক ছাড়পত্র এসেছে ঢাকায়। কাজেই কোয়ার্টার ফাইনালে খেলতে পারবেন তিনি।বগুড়ায় গতকাল বিকেলে সদর থানা লক্ষ্য করে হাতবোমা ছুড়েছে দুর্বৃত্তরা। নোয়াখালীতে ১৮-দলীয় জোটের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে আহত হয়েছেন অন্তত ২৫ জন। নোয়াখালী, চাঁদপুরসহ কয়েকটি জেলায় ৩৬টি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করা হয়। যশোরের মনিরামপুরে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর কর্মীদের ওপর হামলা ও কয়েকটি দোকানে আগুন দেওয়া হয়েছে।নিজস্ব প্রতিবেদক, আঞ্চলিক কার্যালয় ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর:বগুড়া সদর থানা লক্ষ্য করে বিকেলে একটি হাতবোমা ছোড়ে দুর্বৃত্তরা। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি। পুলিশ জানায়, থানার সামনে নিউমার্কেটের প্রবেশমুখের ফুটপাত থেকে হাতবোমাটি ছোড়া হয়।বগুড়ার পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মোজামেঞ্চল হক বলেন, দুষ্কৃতকারীরা থানা লক্ষ্য করে বোমা ছুড়ে নিউমার্কেটে কেনাকাটা করতে আসা মানুষের সঙ্গে মিশে যায়।এর আগে শনিবার রাত ১০টার দিকে বগুড়া-৬ (সদর) আসনের একক প্রার্থী জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলামের শহরের নারুলী এলাকার বাসভবন লক্ষ্য করে পরপর দুটি পেট্রলবোমা ছোড়ে দুর্বৃত্তরা। নুরুল ইসলামের ভাতিজা রেজাউল করিম জানান, পেট্রলবোমা দুটি বিস্ফোরিত হলেও বাসার কোনো ক্ষতি হয়নি।নোয়াখালীতে গতকাল সকালে বাস, পিকআপ ও অটোরিকশাসহ তিনটি যানবাহনে অগ্নিসংযোগ এবং ফায়ার সার্ভিসের গাড়িসহ ছয়-সাতটি গাড়ি ভাঙচুর করেন ১৮-দলীয় জোটের কর্মীরা। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শহরের পৌর বাজার থেকে গোদার মসজিদ এলাকায় এসব ঘটনা ঘটে। এ সময় ১৮-দলীয় জোটের কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের কয়েক দফা পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গুলি ও কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে। এতে অন্তত ২৫ জন নেতা-কর্মী আহত হন।চাঁদপুর শহরে সরকারি কলেজের সামনে পাথরবোঝাই একটি ট্রাকে আগুন এবং শহরের বিভিন্ন স্থান, হাজীগঞ্জ ও বলাখালে পুলিশের গাড়িসহ ২০টি গাড়ি ভাঙচুর করেন বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা। গতকাল বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এসব ঘটনা ঘটায়। এ ছাড়া হাজীগঞ্জে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হন।যশোরের মনিরামপুর উপজেলায় শনিবার মধ্যরাত থেকে গতকাল রোববার দুপুর পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকায় তিনটি হামলার ঘটনা ঘটে। চাঁদপুর বাজারের বিএনপির কার্যালয়সহ পাঁচটি দোকানে আগুন দেওয়া হয়। এ ছাড়া নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে হামলার শিকার হন আওয়ামী লীগের প্রার্থী খান টিপু সুলতানের ছেলে হুমায়ুন কবির। এ সময় তাঁর ব্যক্তিগত গাড়ি ভাঙচুর করা হয়।বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজউদ্দিন আহম্মেদকে আটকের প্রতিবাদে রাতে ভোলার সাত উপজেলায় বিক্ষোভ হয়েছে। লালমোহন উপজেলায় বিক্ষোভ বের করলে বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের সংঘর্ষ হয়। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ৩২ জন আহত হন। এ সময় উভয় পক্ষ চারটি গাড়ি ও ২০টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ভাঙচুর করে। এ ঘটনার প্রতিবাদে বিএনপি আজ সোমবার লালমোহনে হরতাল ডেকেছে। |
মাদকদ্রব্য, বিস্ফোরক ইত্যাদি শনাক্ত করতে প্রশিক্ষিত কুকুরের ব্যবহার নতুন নয়। তবে এবার এই তালিকায় যুক্ত হচ্ছে ইঁদুরও। নেদারল্যান্ডসের পুলিশ এই উদ্যোগ নিয়ে কয়েকটি ইঁদুরকে প্রশিক্ষিত করে তুলেছে। এসব ইঁদুর ঘ্রাণের মাধ্যমে মাদকদ্রব্য বা বিস্ফোরকের মতো বস্তুর অস্তিত্ব শনাক্ত করে অপরাধ নিয়ন্ত্রণে পুলিশকে সাহায্য করবে। ডাচ্ পুলিশের ‘ইনোভেশন’ কেন্দ্রের প্রধান মার্ক ওয়েবস বলেন, ‘আমরা যত দূর জানি, পুলিশের তদন্তে ব্যবহারের জন্য ইঁদুরকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার ক্ষেত্রে বিশ্বে আমরাই প্রথম।’ কুকুরের পরিবর্তে ইঁদুর ব্যবহারে সময় ও অর্থ দুটোই বাঁচবে। কেননা, একটি ইঁদুরকে প্রশিক্ষণে খরচ হবে মাত্র ১৩ মার্কিন ডলার। আর এতে সময়ও লাগবে তুলনামূলক কম। এএফপি।ইদানীং অদ্ভুত এক খেয়াল চেপেছে ‘ওয়ার্ল্ড ওয়ার জি’ তারকা ব্র্যাড পিটের মাথায়। সাবান ব্যবহার বন্ধ করে লেবু পানি আর আপেলের রস মেশানো ভিনেগার দিয়ে গোসল ও হাত-মুখ ধোয়ার কাজ সারছেন তিনি। এদিকে পিটের শরীরের বোটকা গন্ধে টিকতে না পেরে রীতিমতো বিদ্রোহ ঘোষণা করেছেন তাঁর দীর্ঘদিনের সঙ্গী ও বাগ্দত্তা অ্যাঞ্জেলিনা জোলি। ছয় সন্তানের মুখে ‘গন্ধ-বাবা’ ডাকও শুনতে হচ্ছে বেচারা পিটকে।পরিবেশের ক্ষতি করতে চান না বলেই সাবান স্পর্শ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন হলিউডের অন্যতম প্রভাবশালী তারকা অভিনেতা ও প্রযোজক ব্র্যাড পিট।এ প্রসঙ্গে ঘনিষ্ঠ সূত্রের বরাতে যুক্তরাজ্যের ফিমেলফার্স্ট পত্রিকা জানিয়েছে, সাবানের বিষক্রিয়া সংক্রান্ত একটি লেখা পড়ে পিটের মাথায় এই ভূত চেপেছে। লেখাটি পড়ে তিনি জানতে পেরেছেন, অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল সাবানে যে উপাদান ব্যবহার করা হয় তা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। শুধু তাই নয়, এই সাবান ব্যবহার করলে মানুষ দ্রুত বুড়িয়ে যায়।এদিকে পিটের সাবান ব্যবহার না করার সিদ্ধান্ত ঠিক হজম করতে পারেননি জোলি এবং পিট-জোলির ছয় সন্তান ম্যাডক্স, প্যাক্স, জাহারা, শিলহ, নক্স ও ভিভিয়েন। জোলি জানিয়েছেন, সাবান ব্যবহার না করায় পিটের শরীর থেকে নাকি ভেড়া চড়ানোর কাজে ব্যবহূত কুকুরের মতো গন্ধ বের হচ্ছে।পিটের শরীরের দুর্গন্ধে টিকতে না পেরে তাঁকে নিয়ে সব সময় ঠাট্টা করার পাশাপাশি তাঁর বিরুদ্ধে রীতিমতো যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন জোলি। শুধু তাই নয়, সন্তানদের মুখে ‘গন্ধ-বাবা’ ডাকও শুনতে হচ্ছে পিটকে।ইন্দোনেশিয়া ওপেনে শুরুটা ভালো হয়নি সিদ্দিকুরের। প্রথম দিনে কাল পারের সমান ৭১ শট খেলেছেন বাংলাদেশের সেরা গলফার। তিনটি করে বার্ডি ও বগি করা সিদ্দিকুর আছেন যৌথভাবে ৪৩ নম্বরে। সাড়ে সাত লাখ ডলারের এই প্রতিযোগিতায় পারের চেয়ে ৭ শট কম খেলে শীর্ষে ভারতের গগনজিৎ ভুল্লার। তথ্যসূত্র: এশিয়ান ট্যুর।প্রার্থিতা বাতিল হওয়ার পর উচ্চ আদালতের রায় পেয়ে নির্বাচনের সাত দিন আগে প্রচারণা শুরু করেছেন নীলফামার-১ (ডোমার-ডিমলা) আসনের জাতীয় পার্টির (জাপা) মনোনীত প্রার্থী সাংসদ জাফর ইকবাল সিদ্দিকী। গতকাল রোববার দুপুর থেকে মাইকযোগে তাঁর প্রচারণা শুরু হয়।আগামী ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নীলফামারী-১ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেন জাফর ইকবাল। ৫ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র বাছাইকালে ঋণখেলাপির অভিযোগে জাফর ইকবালের মনোনয়নপত্র বাতিল করে দেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা। পরে জাফর ইকবাল এ বিষয়ে উচ্চ আদালতে আপিল করলে গত বৃহস্পতিবার তাঁর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দেন আদালত।এ ব্যাপারে জাফর ইকবাল সিদ্দিকী বলেন, ‘উচ্চ আদালতের রায়ের পর নির্বাচন কমিশন গতকাল দুপুরে আমার প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করলে নির্বাচনী এলাকার নেতা-কর্মীরা প্রচারণা শুরু করে দেন। আমি কাল (আজ) সোমবার এলাকায় গিয়ে প্রচারণায় অংশ নেব।’এই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আফতাব উদ্দিন সরকার ও জাসদের প্রার্থী খায়রুল আলম নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।জানতে চাইলে নীলফামারী জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মো. জাকীর হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো নির্দেশনা পাইনি। নির্দেশনা পেলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।’ ওই আসনের ব্যালট পেপার ইতিমধ্যে চলে এলেও নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি। |
সাংসদ একরামুল করিম চৌধুরীর নোয়াখালীর হাতিয়ায় যাওয়া ও জনসভা ঠেকাতে সরকারি গাছ কেটে সড়কে ফেলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে সৃষ্ট উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে হাতিয়া পৌর এলাকায় গতকাল শনিবার দুপুর ১২টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ওয়ালী উল্যাহ বলেন, ‘নোয়াখালী-৪ আসনের সাংসদ একরামুলকে আগামী সংসদ নির্বাচনে হাতিয়া আসনে মনোনয়ন দেওয়ার জন্য দলের কাছে প্রস্তাব করায় জেলা কমিটির সহসভাপতি মোহাম্মদ আলী লোকজন দিয়ে সরকারি গাছ কেটে সড়ক অবরোধ করেন।’এ অভিযোগ অস্বীকার করে মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এর সঙ্গে আমার নাম জড়ানো হচ্ছে।’ তিনি বলেন, বিগত পাঁচ বছরে কিছু ব্যক্তির ক্ষমতার দাপটে যাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাঁরাই রাস্তায় নেমে এসেছেন বলে তিনি শুনেছেন।দলীয় ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ১১ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতাদের মতবিনিময় সভায় হাতিয়ার নেতারা নোয়াখালী-৫ (হাতিয়া) আসনে দলীয় মনোনয়নের জন্য নোয়াখালী-৪ আসনের সাংসদ একরামুল করিম চৌধুরীর নাম প্রস্তাব করেন। এরপর গতকাল হাতিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে জনসভার আয়োজন করা হয়। জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাংসদ একরামুল করিমের বক্তব্য দেওয়ার কথা। এ নিয়ে শহীদ মিনার চত্বরকে সাজানো হয় নতুনভাবে। বিভিন্ন স্থানে তৈরি করা হয় কমপক্ষে ২০টি তোরণ।স্থানীয় সূত্র জানায়, গতকাল সকালে সাংসদ একরামুলের জেলা শহর থেকে সড়কপথে হাতিয়ার বয়ারচরের চেয়ারম্যানঘাটে আসার কথা। পরে সেখান থেকে নৌ ও সড়কপথে তাঁর উপজেলা সদরে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু গত শুক্রবার রাতে বয়ারচরের স্টিমারঘাট থেকে চেয়ারম্যানঘাট এবং নলচিরা ও তমরুদ্দীঘাট থেকে ওছখালি পর্যন্ত বিভিন্ন সড়কে অসংখ্য গাছ কেটে সড়ক অবরোধ করা হয়।পুলিশ সূত্র জানায়, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কায় পৌর এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করেন ভারপ্রাপ্ত ইউএনও ওয়ালিউর হাছান। এরপর সাংসদ একরামুল করিমসহ দলীয় নেতারা যাত্রা বাতিল করেন। পুলিশ জানায়, এই ঘটনার পর দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে হাতিয়া থানার ওসি খোরশেদ আলমকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।গ্যালাক্সি গিয়ার স্মার্ট ওয়াচ চালানোর সুবিধার্থে বেশ কয়েকটি স্মার্টফোনের মডেলকে এর উপযোগী করে তুলছে স্যামসাং। গ্যালাক্সি গিয়ার স্মার্ট ওয়াচের জন্য সফটওয়্যার আপডেটও আনছে প্রতিষ্ঠানটি।নতুন সফটওয়্যার আপডেট আনার ফলে পুরোনো মডেলের বেশ কয়েকটি স্যামসাংয়ের স্মার্টফোনে গ্যালাক্সি গিয়ার সমর্থন করবে।সম্প্রতি গ্যালাক্সি গিয়ার নামের একটি স্মার্টওয়াচ বাজারে এনেছে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিষ্ঠান। ৩০০ মার্কিন ডলার দামের এ হাতঘড়িটি কেবল গ্যালাক্সি নোট থ্রি স্মার্টফোন সমর্থন করে। এ হাতঘড়ি দিয়ে স্মার্টফোনের মতোই কল করাসহ ইন্টারনেট ব্রাউজ ও ইমেইল আদান-প্রদানও করা যায়। এতে রয়েছে গুগলের অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম।স্যামসাং কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নোট থ্রির পাশাপাশি গ্যালাক্সি এস২, এস৩, এস ৪, এস ফোর মিনি, মেগাসহ স্যামসাংয়ের বেশ কয়েকটি মডেলের সঙ্গে এই হাতঘড়ি ব্যবহার করা যাবে। স্মার্টফোনে আসা বিভিন্ন নোটিফিকেশন ও তথ্য গ্যালাক্সি গিয়ার নামের এ হাতঘড়িতেই দেখে নিতে পারবেন ব্যবহারকারীরা। অর্থাত্ স্মার্টফোনের কাজ হাতঘড়িতেই সেরে ফেলা যাবে।‘কী যে বলি...অনুভূতি কীভাবে বোঝাই ...!’ এমনিতে আবেগের বহিঃপ্রকাশ খুব একটা দেখা যায় না তাঁর মধ্যে। কিন্তু পরশুর ম্যাচ শেষে আক্ষরিক অর্থেই যেন ভাষা হারিয়ে যেন ফেলেছিলেন উচ্ছ্বসিত মিসবাহ-উল-হক। এমন একটা জয়ের পর এটা স্বাভাবিকও।তীরে এসে তরী ডোবার শিকার যখন দক্ষিণ আফ্রিকা, তাদের ক্ষেত্রে আরও একবার ‘চোক’ শব্দটি ব্যবহার করাই যায়। দক্ষিণ আফ্রিকা হেরেছে আসলে পাকিস্তানের মতো করেই। আর হাত থেকে বেরিয়ে যাওয়া ম্যাচটি অভাবিতভাবে মুঠোয় পুরেছে পাকিস্তান। সেই জয়েই ইতিহাস গড়ল মিসবাহর পাকিস্তান। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে পাকিস্তান সিরিজ জিতল এই প্রথম, সেটাও দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে! উপমহাদেশের কোনো দলেরই দক্ষিণ আফ্রিকায় সিরিজ জয় এই প্রথম। নাটকীয় জয়ে মধুর প্রতিশোধও নিয়েছে পাকিস্তান। দুই দলের আগের সিরিজেই গত ৩০ অক্টোবর পাকিস্তানের মুঠো থেকে দক্ষিণ আফ্রিকা ছিনিয়ে নিয়েছিল ১ রানের জয়!শারজার সেই ম্যাচে শেষ ১০ ওভারে ৬ উইকেট হাতে নিয়ে ২৫ রান প্রয়োজন ছিল পাকিস্তানের। কিন্তু ২৪ বল আগেই গুটিয়ে গিয়ে হেরেছিল ১ রানে। পরশু পোর্ট এলিজাবেথে ২৬৩ রান তাড়ায় দক্ষিণ আফ্রিকার প্রয়োজন ছিল ১২ বলে ১১, হাতে ৬ উইকেট। সেঞ্চুরির দোরগোড়ায় হাশিম আমলা। ৪৯তম ওভারের প্রথম ৫ বলে সাঈদ আজমল দিলেন মাত্র ২ রান। শেষ বলে ছক্কায় সেঞ্চুরি ছুঁতে গিয়ে আকাশে তুলে হাফিজের তালুবন্দী আমলা (৯৮)। শেষ ওভারে প্রয়োজন ৯। উইকেটে দুই বাঁহাতি (ডুমিনি ও মিলার) দেখে অফস্পিনার হাফিজের হাতে বল তুলে দিয়েছিলেন মিসবাহ। কিন্তু নিজে থেকেই এগিয়ে গিয়ে বল চেয়ে নেন জুনাইদ খান। এই সাহসের উৎস যে নিজের সামর্থ্যে অগাধ আস্থা, সেটা দেখিয়েছেন অসাধারণ বোলিং করে। প্রথম বলে ১ রান, পরের বলে আনোয়ার আলীর দুর্দান্ত ক্যাচে আউট জেপি ডুমিনি। পরের চার বলই ইয়র্কার লেংথ। তৃতীয় বলে রান নেই, চতুর্থ বলে ১, পঞ্চম বলে লেগবাই ১। শেষ বলে প্রয়োজন ছিল ৬, মিলারের পায়ে লেগে বল বাউন্ডারিতে। সেন্ট জর্জেস পার্কে পাকিস্তানিদের উচ্ছ্বাস তখন বাঁধনহারা।এমন ম্যাচ জিততে ভাগ্যের ছোঁয়া অবশ্যই লাগে। তবে মিসবাহর পরিকল্পনারও বড় একটা ভূমিকা ছিল জয়ে, ‘আমি সবাইকে বলছিলাম ম্যাচ কোনোমতে শেষ ওভারে নিয়ে যেতে। কারণ রান যতই প্রয়োজন হোক আর উইকেট যতই থাকুক, ম্যাচ শেষ ওভারে গেলে ব্যাটিং দল একটু চাপে পড়েই। ৪৯তম ওভারটি গুরুত্বপূর্ণ ছিল, আজমল দুর্দান্ত বোলিং করেছে। শেষ ওভারে জুনাইদ ইয়র্কার দারুণভাবে কাজে লাগিয়েছে।’সিরিজ জয়টা ঐতিহাসিক। পাকিস্তান অধিনায়ক তাই একটু বেশিই উচ্ছ্বসিত, ‘আমাদের জন্য এটি অনেক, অনেক বড় একটি অর্জন। বিশেষ করে এই তরুণ দলটির জন্য। এই দল এখন নিজেদের সামর্থ্যে বিশ্বাস করতে শুরু করেছে। আবুধাবি ও শারজায় (আগের সিরিজে) এই বিশ্বাসেরই ঘাটতি ছিল। দল এখন আরও আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠবে, ভবিষ্যতে আরও ভালো করবে।’সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে আগামীকাল সেঞ্চুরিয়নে। ওয়েবসাইট।মাস চারেক আগেও যদি কেউ বলত ফিরতি অ্যাশেজে ৪-০ করে অস্ট্রেলিয়া সিডনিতে যাবে, অনেকেই হেসে উড়িয়ে দিতেন। ক্রিস রজার্স সেঞ্চুরি করে বক্সিং ডে টেস্ট জেতাবেন—এটা আরও দূরের কল্পনা।কিন্তু কল্পনা ছাড়ানো বিস্ময় উপহার দিতে পারে বলেই না এর নাম ‘ক্রিকেট’।চতুর্থ দিনে মেলবোর্ন অবশ্য আগের তিন দিনের মতো নতুন বিস্ময় উপহার দেয়নি। ২ উইকেট হারিয়ে চা-বিরতির আগেই ইংল্যান্ডের দেওয়া ২৩১ রানের লক্ষ্য ছুঁয়ে ফেলল অস্ট্রেলিয়া। রজার্স সেঞ্চুরি করলেন, ৪-০ হলো। ৩ জানুয়ারি থেকে শুরু সিডনি টেস্টের ফলও যদি আগের চার টেস্টের মতো হয় তাহলে ২০০৬-০৭ মৌসুমে রিকি পন্টিংয়ের পর ইংল্যান্ডকে ধবলধোলাই করা অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক হিসেবে নাম লেখাবেন মাইকেল ক্লার্কও।প্রথম দিন টস জেতার পরই ফিল্ডিং নেওয়ার কারণ হিসেবে ক্লার্ক বলেছিলেন, এ উইকেট শেষ দিকে ব্যাটিংয়ের জন্য ভালো হবে। চতুর্থ ইনিংসে ২৩১ রানের লক্ষ্য সে হিসেবে খুব বেশি কিছু ছিল না। তৃতীয় দিন শেষেই সেটা নেমে এসেছিল ২০১ রানে। কিন্তু ১৯৯৬ সালের পর কালকের আগ পর্যন্ত মেলবোর্নে চতুর্থ ইনিংসে ১৮৩ রানের বেশি তাড়া করে জেতেনি কোনো দল। এই ইতিহাস কিছুটা আশা দিয়ে থাকবে বার্মি আর্মিদের। কিন্তু প্রথম আধঘণ্টায় দুটি ক্যাচ ফেলে সমর্থকদের সেই আশায় জল ঢেলেছেন স্বয়ং ইংল্যান্ড অধিনায়ক অ্যালিস্টার কুক। রজার্সের ক্যাচ ছেড়েছেন ১৯ রানে, প্রথম স্লিপে দাঁড়িয়ে ডেভিড ওয়ার্নারকে জীবন দেন ২২ রানে। ওয়ার্নারের ক্যাচ ফেলার জন্য বেশিক্ষণ আফসোস করতে হয়নি তাঁকে। ওই ২২ রানের সঙ্গে আর মাত্র ৩ রান করেই স্টোকসের বলে উইকেটকিপার বেয়ারস্টোর হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার। কিন্তু রজার্স ভুগিয়েছেন প্রায় শেষ পর্যন্ত। পানেসারের বলে কট বিহাইন্ড হয়ে যখন ফিরেছেন, তাঁর নামের পাশে ১১৬, জয় থেকে মাত্র ৩১ রান দূরে অস্ট্রেলিয়া। মাস চারেক আগে লজ্জাজনক হারের সেই সিরিজেই চেস্টার-লি-স্ট্রিটে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিটা করেছিলেন। তবে কাল সেটাকে ছাড়িয়ে খেললেন ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ টেস্ট ইনিংস। সঙ্গে প্রথম ইনিংসের ৬১ রান যোগ করলে মেলবোর্নে বোলারদের দাপটের মধ্যে রজার্সের এই পারফরম্যান্স অবশ্যই দুর্দান্ত। তবে এত কিছুর পরও ম্যাচসেরার পুরস্কার পেয়েছেন দুই ইনিংস মিলিয়ে ৮ উইকেট এবং জো রুটকে দুর্দান্ত রানআউট করা মিচেল জনসন। রজার্সের পুরস্কার—বয়স বেশি হয়ে গেছে বলে কিছুদিন আগেও যাঁরা তাঁর সমালোচনায় মুখর ছিলেন, তাঁদের চুপ করিয়ে দিয়ে ফেব্রুয়ারিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজে থাকার এ দাবিটা জোরালো করেছেন।ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ পেয়ে যাওয়ায় ওপাশে হাত খুলে খেলেছেন ক্লার্কও। শেষ পর্যন্ত ৯০ বলে ৮৩ রানে অপরাজিত থেকে গেছেন অধিনায়ক, তবে তার আগেই ষষ্ঠ অস্ট্রেলিয়ান হিসেবে টেস্ট ক্যারিয়ারের ৮ হাজার রানের মাইলফলক পেরিয়ে গেছেন তিনি। অস্ট্রেলীয়দের মধ্যে ক্লার্কের (১৭২ ইনিংস) চেয়ে কম ইনিংস খেলে এ মাইলফলক পেরোতে পেরেছেন কেবল ম্যাথু হেইডেন (১৬৪) ও রিকি পন্টিং (১৬৫)। এএফপি। |
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনীর লেমুয়াবাজার থেকে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) গত শুক্রবার রাতে ১৮ মেট্রিক টন চোরাই রডসহ একটি ট্রাক উদ্ধার করেছে। এ সময় ট্রাকের চালক ও চোরাই রডের ক্রেতা পালিয়ে যান। উদ্ধার করা রডের আনুমানিক মূল্য ১২ লাখ টাকা।পুলিশ ও পরিবহন মালিক সূত্র জানায়, ২৬ সেপ্টেম্বর দুপুরের দিকে চট্টগ্রামের নাসিরাবাদ শিল্প এলাকা থেকে মেসার্স সফল ট্রান্সপোর্ট অ্যান্ড কার্গো সিস্টেম পরিবহনের একটি ট্রাক ১৮ মেট্রিক টন বিভিন্ন ধরনের ২৩৬ বান্ডেল রড বোঝাই করে ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলার আশুগঞ্জ পাওয়ার প্ল্যান্ট টিএসকে প্রকল্পের উদ্দেশে রওনা করে। পরদিন শুক্রবার পরিবহন মালিক আশুগঞ্জ খোঁজ নিয়ে জানাতে পারেন, রডবোঝাই ট্রাকটি সেখানে পৌঁছায়নি। তখন চালককে তাঁর মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু চালকের মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া যায়।এদিকে গোপন সংবাদের মাধ্যমে ফেনীর গোয়েন্দা পুলিশ জানতে পারে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে ফেনী সদর উপজেলার লেমুয়াবাজারের ‘ফরহাদ এন্টারপ্রাইজ’ নামক একটি দোকানে ওই নিখোঁজ ট্রাক থেকে রডগুলো নামানো হচ্ছে। গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা লেমুয়াবাজার যান এবং সেখানে থেকে শুক্রবার রাতে ওই ট্রাক ও রড উদ্ধার করে ফেনী নিয়ে যান। এ সময় ট্রাকের চালক মো. জসিম (৩০) ও দোকানের মালিক শেখ ফরিদ হাজারী (৫০) পালিয়ে যান। এ ঘটনায় চট্টগ্রামের মেসার্স সফল ট্রান্সপোর্ট অ্যান্ড কার্গো সিস্টেম পরিবহনের মালিক মো. হাবিব উল্যা চৌধুরী বাদী হয়ে ট্রাকের চালক মো. জসিম ও লেমুয়াবাজারের ফরহাদ এন্টারপ্রাইজের মালিক শেখ ফরিদ হাজারীর বিরুদ্ধে শুক্রবার রাতেই ফেনী মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।ফেনীর গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাশেদ খান চৌধুরী রডবোঝাই ট্রাক উদ্ধার এবং থানায় মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ট্রাকের চালক ও ওই দোকানের মালিকের যোগসাজশে এ ঘটনাটি ঘটেছে বলে পুলিশ ধারণা করছে। ট্রাকের চালক ও দোকানের মালিক পলাতক রয়েছেন।যুক্তরাষ্ট্রে বুকপকেটে থাকা মুঠোফোন সেটের বদৌলতে ডাকাতের ছোড়া গুলি থেকে প্রাণে বেঁচে গেছেন এক ব্যক্তি। ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের একটি গ্যাস স্টেশনে গত সোমবার এ ঘটনা ঘটে। টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে এ কথা জানানো হয়।পুলিশের বরাত দিয়ে খবরে বলা হয়, ফ্লোরিডার অরল্যান্ডো শহরের উইন্টার গার্ডেন এলাকার একটি গ্যাস স্টেশনে সোমবার ভোরে এক ডাকাত হানা দেয়। রিভলবার উঁচিয়ে ওই স্টেশনের এক কর্মচারীকে সিন্দুক খোলার নির্দেশ দেয় ওই ডাকাত। ওই কর্মচারী সিন্দুকটি খুলতে ব্যর্থ হওয়ায় আরেক কর্মচারীকে এটি খোলার নির্দেশ দেয় ডাকাত। ওই কর্মচারীও সিন্দুকটি খুলতে ব্যর্থ হয়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ওই ডাকাত গুলি ছুড়তে ছুড়তে পালিয়ে যায়।খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান জরুরি সেবা কর্মকর্তারা। এ সময় স্টেশনটির এক কর্মচারী তাঁর বুকব্যথার কথা জানান। পরীক্ষা করে দেখা যায়, ওই কর্মচারীর বুক লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়েছিল। তাঁর বুকপকেটে থাকা মুঠোফোন সেটে গুলিটি লাগায় তিনি প্রাণে রক্ষা পান।ওয়েস্ট ইন্ডিজ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বিপক্ষে সাত ম্যাচের যুব ওয়ানডে সিরিজ শুরু হবে আগামী ৬ ডিসেম্বর থেকে। সিরিজের জন্য কাল ঘোষিত হয়েছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। অধিনায়ক মেহেদী হাসান (মিরাজ), সহ-অধিনায়ক জসিম উদ্দিন। ১৪ সদস্যের দলের সঙ্গে স্ট্যান্ডবাই থাকা ছয়জনকেও আজ বিকেল ৫টায় সাহারা-বিসিবি একাডেমি ভবনে রিপোর্ট করতে বলা হয়েছে।এই সিরিজে খেলতে আগামী ২ ডিসেম্বর বাংলাদেশে এসে পৌঁছানোর কথা ওয়েস্ট ইন্ডিজ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের।বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল: মেহেদী হাসান (অধিনায়ক), জসিম উদ্দিন (সহ-অধিনায়ক), সাদমান ইসলাম, নাজমুল হোসেন, ইয়াসির আলী চৌধুরী, মোসাদ্দেক হোসেন, সাঈদ সরকার, জয়রাজ শেখ, আবু হায়দার, রিফাত প্রধান, মুস্তাফিজুর রহমান, নিহাদ-উজ-জামান, জুবায়ের হোসেন ও রাহাতুল ফেরদৌস। স্ট্যান্ডবাই: জাকির হাসান, সিফাত ইসলাম, নাহিদ হাসান, প্রসেনজিৎ দাস, মুনিম শাহরিয়ার ও মোহাম্মদ সুমন।দক্ষিণ কোরিয়ার জনপ্রিয় প্রযুক্তি ও ইলেকট্রনিকস পণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠান স্যামসাং সম্প্রতি একটি নতুন হাইব্রিড যন্ত্রের ট্রেডমার্ক করিয়েছে। ‘স্যামসাং হিট’ নামের এ যন্ত্রটিতে একই সঙ্গে থাকছে অনেক কিছু। একে তিনটি ভাগে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ডিজিটাল ক্যামেরা, ট্যাবলেট এবং স্মার্টফোন। ডাচ সাইট কোপেনগ্যালাক্সিস ৫-এর তথ্যানুযায়ী, হাইব্রিড যন্ত্রটির তথ্য ইতিমধ্যে ফাঁস হয়ে গেছে। যন্ত্রটি আসলে স্যামসাং হিট, এটি গ্যালাক্সিএস৫ নয় এমন তথ্যও ইতিমধ্যে জানা গেছে। স্মার্টফোন এবং ট্যাবলেট উভয়ই এই হাইব্রিড যন্ত্রের অংশ হিসেবে ইতিমধ্যে বেঞ্চমার্কে উঠে এসেছে। এদের কোডনেম হলো স্যামসাং এসএম-জি ৯০০এ, এসএম-জি ৯০০এফ এবং এসএম-জি ৯০০এস। এই মডেলগুলো স্যামসাং গ্যালাক্সিএস৫-এর বিভিন্ন নমুনা হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছিল, তবে সেগুলো সম্পূর্ণ ভিন্ন যন্ত্র হতে পারে। অন্য একটি তথ্যমতে, স্যামসাং হিট ট্যাবলেটের পর্দা হবে মূলত ২৫৬০ বাই ১৪৪০ পিক্সেল রেজল্যুশনের, যেখানে স্মার্টফোনের পর্দার অংশটি হবে সম্পূর্ণ এইচডি (১০৮০পি) ক্যাপাসিটিভ টাচস্ক্রিন। উভয় যন্ত্রেই বিভিন্ন রকম বেঞ্চমার্ক পাওয়া গেছে যেমন অ্যানটুটু এবং জিএফএক্স বেঞ্চমার্ক। কাজেই সহজেই বলা যায়, এগুলো সত্যিই অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন বা ট্যাবলেট। নতুন হাইব্রিড ডিভাইসটি নিশ্চিতভাবে আসুসের প্যাডফোন মডেলের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। অবশ্য স্যামসাংয়ের এই স্মার্টফোন কিংবা ট্যাবলেটের দাম কত হবে সে ব্যাপারে জানা যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, শিগগিরই এটি বাজারে আসবে। এও শোনা যাচ্ছে, আগামী কনজিউমার ইলেকট্রনিক শোতে (সিইএস) স্যামসাং তাদের এই হাইব্রিড ডিভাইসটি প্রদর্শন করবে। —সফটপেডিয়া অবলম্বনে প্রদীপ সাহা |
যুক্তির লড়াইয়ে প্রস্তুত পুরো বিদ্যালয়। বৃক্ষশোভিত মাঠে বিশাল মঞ্চ। আবাসিক এলাকার নীরবতা ছাপিয়ে শুরু হয় যুক্তির লড়াই। ‘ফার্ম ফ্রেশ-বন্ধুসভা বিতর্ক উৎসব ২০১৩’-এর ধানমন্ডি অঞ্চলের প্রতিযোগিতায় ছিল এমন বর্ণাঢ্য উপস্থাপন। ‘যুক্তির ঝলকে মঙ্গল আলোকে বিতর্ক শিখি আলোকিত হই’ স্লোগানে লালমাটিয়া বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে গতকাল শনিবার দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হয় এ প্রতিযোগিতা। যুক্তির চূড়ান্ত লড়াইয়ে অবতীর্ণ দুটি দলই ছিল মেয়েদের। যুক্তি-পাল্টাযুক্তির শাণিত বক্তব্য ও করতালিতে জমে ওঠে বিতর্কের চূড়ান্ত লড়াই। বিজয়ী হয় ওয়াইডব্লিউসিএ উচ্চমাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়। রানার্সআপ হলিক্রস বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। শ্রেষ্ঠ বক্তা হয় রানার্সআপ প্রতিষ্ঠানের তাবাসসুম মোস্তাচীর। পুরস্কার প্রদান করেন বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াডের সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান ও শিল্পী মাহমুদুজ্জামান বাবু। বিজয়ী ও রানার্সআপ দলকে একটি করে ট্রফি ও প্রত্যেক তার্কিককে একটি করে ক্রেস্ট দেওয়া হয়। চূড়ান্ত লড়াইয়ের আগে মাহমুদুজ্জামান বাবুর গাওয়া ‘সময়ের দীর্ঘ পথে হেঁটে যেতে হবে বহুদূর’ গান ছিল বেশ উপভোগ্য। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বন্ধুসভার নির্বাহী সভাপতি সাইদুজ্জামান রওশন।সকালে জাতীয় সংগীতের সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন ঘোষণা করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক স্বপন কুমার সাহা। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে ১৭টি বিদ্যালয়। সেমিফাইনালে অংশগ্রহণকারী অপর দুটি প্রতিষ্ঠান হলো ধানমন্ডি গভর্নমেন্ট বয়েজ হাইস্কুল ও ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ধানমন্ডি শাখা।যাঁরা ওজন নিয়ে ভাবেন বা চিন্তিত, তাঁদের কাছে ‘ক্রাশ ডায়েট’ শব্দটি অত্যন্ত পরিচিত ও জনপ্রিয়। অথচ অনেকেই বুঝতে পারেন না বা জানেন না, এটা কী ধরনের ডায়েট এবং এটা কীভাবে শুরু করতে হয়। ফলাফল না জেনেই অনেকে শুরু করেন এই ডায়েট।ক্রাশ ডায়েট জনপ্রিয় হলেও এটা বিপজ্জনক ডায়েট হিসেবে বিবেচিত। কারণ, এটি বিজ্ঞানসম্মত নয়। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন বিজ্ঞাপনে মানুষকে জানানো হয়, সপ্তাহে তিন থেকে পাঁচ কেজি অথবা মাসে ১০ থেকে ১২ কেজি ওজন কমানো যায়। এটি আসলে ভিত্তিহীন।অতিরিক্ত বা কঠোর খাদ্যনিয়ন্ত্রণের (প্রায় না খেয়ে থাকা) ফলে ওজন দ্রুত কমবে ঠিকই, কিন্তু এ কারণে শরীরের পুষ্টিঘাটতি প্রকট আকারে দেখা দেয়। অনেক সময় দেখা যায়, ক্রাশ ডায়েটের ফলে ওজন কমানোর ক্ষেত্রে সাফল্য লাভ হয় ঠিকই, কিন্তু পরবর্তী সময়ে খুব কম সময়ের মধ্যে আবার আগের ওজন ফিরে আসে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ওজন আগের ওজনের চেয়ে দ্বিগুণ হারে বাড়ে।ক্রাশ ডায়েট অনেক রকমের হয়ে থাকে—১. লিক্যুইড প্রোটিন ডায়েট: এই ডায়েটে শুধু মুরগির স্যুপ থাকে। এই ডায়েটে সারা দিনে মোট ৩০০ ক্যালোরির বেশি থাকে না।২. এটকিন ডায়েট: একে ফ্যাশনেবল ডায়েট বা নো কার্ব ডায়েটও বলা হয়। এতে থাকে ডিম, মাছ, মাংস, দুধ। কোনো রকম শর্করা যেমন: ভাত, রুটি, আলু ও চিড়া এতে নেই। দীর্ঘদিন এই ডায়েট চলতে থাকলে দেহে কিটোঅ্যাসিডোসিস হয়ে থাকে। মাথাব্যথা, দুর্বলতা, বমিভাব, রক্তে কোলেস্টেরল বৃদ্ধি এই ডায়েটের ফলে হয়ে থাকে।৩. লো ফ্যাট ডায়েট: এই ডায়েটে তেল-চর্বি একেবারেই থাকে না। রান্নায় তেল বাদ দেওয়া হয়। এমনকি মাছ-মাংসও কম থাকে। সারা দিনে ১০-১২ গ্রামের বেশি প্রোটিন থাকে না। এতে শরীরে আমিষের অভাব হয় এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেয়।৪. ফ্রুটস ডায়েট বা কলা ডায়েট: শুধু ফল ও সবজি খেয়ে এই ডায়েট করা হয়। প্রতি বেলায় ছয় থেকে আটটি কলা খাওয়া হয়। এই ডায়েটের ফলে শরীরে শর্করা ও আমিষের অভাব হয়।সামনে কোনো অনুষ্ঠান বা বিশেষ কারণে দ্রুত ওজন কমাতে চাইলে ক্রাশ ডায়েট করতে পারেন। তবে এই ডায়েট অবশ্যই ১০ দিনের বেশি করা উচিত নয়। খুব বেশি দিন এ ধরনের ডায়েট মেনে চলতে গেলে শরীরের অভ্যন্তরীণ সমস্যা ছাড়াও বাহ্যিক সমস্যা দেখা যায়। যেমন: ক্রমাগত মাথা ঘোরা, ঘুম না হওয়া, পেটে ব্যথা, পেট খারাপ, দুর্বলতা ইত্যাদি। কাজকর্মে উৎসাহ না পাওয়া, সবকিছুতে আগ্রহ হারানো। এ ছাড়া চেহারায় ক্লান্তির ছাপ, ত্বকের উজ্জ্বলতা নষ্ট হওয়া অথবা ত্বকের সজীবতা হারানো ইত্যাদি সমস্যা হয়।ফলে বোঝাই যাচ্ছে, প্রতিটি ক্রাশ ডায়েটেরই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। একান্ত জরুরি না হলে ক্রাশ ডায়েট মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়। মনে রাখতে হবে, এটা সব সময়ের ডায়েট হতে পারে না।লেখক: বিভাগীয় প্রধান, পুষ্টিবিজ্ঞান বিভাগ, বারডেম জেনারেল হাসপাতালযুদ্ধের মাঝপথে মোক্ষম একটি অস্ত্র ব্যবহার না করার অনুরোধ কে রাখতে চাইবে! অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার তাই যতই সাদা পতাকা ওড়ান, অস্ট্রেলিয়ানরা সেদিকে তাকিয়েও দেখতে চান না। ‘অস্ত্রবিরতির’ প্রস্তাব নিয়ে এসেছিলেন ইংল্যান্ড কোচ, চেয়েছিলেন দুই পক্ষের সমঝোতায় বন্ধ হোক স্লেজিং। কিন্তু সেই প্রস্তাবকে পাত্তাই দেননি মিচেল জনসন, ড্যারেন লেম্যানরা। জনসন তো সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, স্লেজিং ও শর্ট বল—সমানে চলতে থাকবে দুটি তোপই।স্লেজিং নিয়ে হইচই এমনিতে নতুন কিছু নয়। ক্রিকেট ইতিহাসে বিখ্যাত-কুখ্যাত কত স্লেজিংয়ের ঘটনাই তো আছে। আর স্লেজিং অ্যাশেজের অনুষঙ্গ সব সময়ই। তবে মাইকেল ক্লার্কের জরিমানা, সংবাদ সম্মেলনে জোনাথন ট্রটকে ডেভিড ওয়ার্নারের খোঁচা, ট্রটের মানসিক অবসাদ, স্টুয়ার্ট ব্রডকে দর্শক-সংবাদমাধ্যমেরও স্লেজিং, সব মিলিয়ে এবার যেন একটু বেশিই উত্তাপ ছড়াচ্ছে স্লেজিং বিতর্ক। ওয়ার্নারের মন্তব্যের সমালোচনাও করেছেন ফ্লাওয়ার ও ইংলিশ অধিনায়ক অ্যালিস্টার কুক।স্লেজিংটাকে শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার কৃতিত্ব অস্ট্রেলিয়ানদেরই দেওয়া হয়। মাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার অভিযোগও আবার সবচেয়ে বেশি ওঠে তাদের বিরুদ্ধে। মাইকেল ক্লার্কের জমানায় অবশ্য এটি অনেকটিই কমে গিয়েছিল। কিন্তু এই অ্যাশেজে ফিরে এসেছে ‘সগৌরবে।’ স্লেজিং অস্ত্রে যে ইংল্যান্ড ভালোই ঘায়েল হয়েছে, সেটার প্রমাণ মাঠে যেমন হয়েছে, হয়েছে ফ্লাওয়ারের প্রস্তাবেও। জনসনের মুখে স্বাভাবিকভাবেই সেই বিজয়ের হাসি, ‘আমি যত দূর শুনেছি, ওদের কোচ শান্তি প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্তু আমাদের দিক থেকে কোনো কিছু বদলানোর মানেই হয় না। যা আমাদের কাজে লেগেছে, তা থেকে কেন সরে আসব!’ফ্লাওয়ারের প্রস্তাব হালে পানি পাচ্ছে না প্রতিপক্ষ কোচ লেম্যানের কাছেও, ‘স্লেজিং ক্রিকেটেরই একটি অংশ। নতুন করে আলোচনার কিছু নেই। আমরা যখন ইংল্যান্ডে গিয়েছিলাম, ওরা আমাদের ছাড়েনি। এখন একই অভিজ্ঞতা ওদেরও হচ্ছে। বিদেশে খেলতে গেলে এসবের সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবেই।’ইংল্যান্ড কোচের মূল আপত্তি ছিল স্লেজিংয়ে মাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়া নিয়ে। তবে মাঠের ভেতরে-বাইরে স্লেজিংয়ের সবচেয়ে শিকার যিনি, সংবাদমাধ্যমেও যিনি নজিরবিহীন স্লেজিংয়ের শিকার হয়েছেন, সেই স্টুয়ার্ট ব্রড কিন্তু কোচের সঙ্গে একমত নন, ‘ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি, স্লেজিং মাত্রা ছাড়ায়নি। এটা অ্যাশেজ, ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ার মর্যাদার লড়াই, মাঠে আবেগের ঝড় থাকবেই। অ্যাশেজে স্লেজিংটা প্রত্যাশিতই। আর মাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়া না-যাওয়ার দায়িত্ব ক্রিকেটারদেরই।’তবে এত কিছুর পরও ব্রিসবেন টেস্টে স্লেজিং ছিল পার্শ্বচরিত্র, মূল চরিত্র অবশ্যই জনসনের শর্ট বল। দ্বিতীয় টেস্টের ভেন্যু অ্যাডিলেড ওভালের উইকেট ঐতিহ্যগতভাবে অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে ব্যাটিং সহায়ক। সেখানে জনসনের কার্যকারিতা নিয়ে সংশয় থাকছে। তবে উল্টো একটা ছবিও দেখালেন জনসন, ‘শর্ট বলের তোপ অ্যাডিলেডেও দাগব। গ্যাবার উইকেটে বাউন্স ছিল সমান, অ্যডিলেডে থাকবে অসমান। মাঝেমধ্যেই উঁচু-নিচু হবে। ওখানে তাই শর্ট বল আরও কার্যকর হতে পারে।’সত্যি সেটা হলে, ইংল্যান্ডের জন্য অপেক্ষা করছে আরেকটি কঠিন পরীক্ষা। অ্যাডিলেড টেস্ট শুরু ৫ ডিসেম্বর। ওয়েবসাইট।গাজীপুর সদর উপজেলার হায়দারাবাদ এলাকায় এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে গত শনিবার দিবাগত রাতে ডাকাতি হয়েছে। ডাকাতের হামলায় দুই ছেলেসহ মা আহত হয়েছেন। এলাকাবাসী এক ডাকাতকে আটক করে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছেন। ডাকাতেরা যাওয়ার সময় ওই বাড়িতে ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে।পুলিশ জানায়, গত শনিবার রাত দেড়টার দিকে ২০-২২ জন ডাকাত কলাপসিবল গেটের তালা কেটে ও জানালার গ্রিল ভেঙে ইসমাইল হোসেনের ঘরে ঢোকে। একপর্যায়ে তারা রাহেলা বেগমের কানের স্বর্ণালংকার লুটে নেওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় তাঁর ছেলে রাসেল ও রুবেল চিৎকার শুরু করলে ডাকাতেরা তাঁদের ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। পরে তারা আলমারি ভেঙে ১২ ভরি স্বর্ণালংকার, নগদ তিন লাখ টাকা, মুঠোফোনের সেট ও মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে।ওই ঘরে থাকা লোকজনের চিৎকারে এলাকায় ডাকাতির খবর ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় গ্রামের মসজিদের মাইক থেকে ডাকাতদের প্রতিহত করার আহ্বান জানানো হয়। এলাকাবাসী ইসমাইলের বাসার সামনে সমবেত হলে ডাকাতেরা কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে বাড়ির সীমানাপ্রাচীর টপকিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। এ সময় গ্রামবাসী জাকির হোসেনকে আটক করে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে। এলাকাবাসী অবিস্ফোরিত দুটি ককটেলও উদ্ধার করে পুলিশকে দিয়েছে।জয়দেবপুর থানার এসআই মোবারক হোসেন জানান, ডাকাতির অভিযোগে আটক জাকিরকে গাজীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। |
চট্টগ্রামে এক সার কারখানায় কাজ করার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে তিন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন দুই শ্রমিক। গতকাল শনিবার বিকেল সোয়া চারটার দিকে ডাই-অ্যামোনিয়াম ফসফেট (ডিএপি) ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড কারখানায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। চট্টগ্রামের আনোয়ারার রাঙাদিয়া এলাকায় এ কারখানা অবস্থিত।দুর্ঘটনায় নিহত শ্রমিকেরা হলেন মো. সাহাবউদ্দিন (৩০), মো. মারুফ (২০) ও ওয়াইছ নূর (৪০)। তাঁদের মৃত অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এ ছাড়া আহত দুই শ্রমিক হলেন এনামুল হক ও সাইদুর রহমান। এনামকে চমেক হাসপাতালের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে ও সাইদুরকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তাঁরা কারখানার উৎপাদন বিভাগের সার ব্যাগিং ও প্যাকিং শাখায় ঠিকাদার আবদুল হালিম খানের তত্ত্বাবধানে নিয়োজিত ছিলেন।কারখানার অতিরিক্ত প্রধান ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) আবুল কাশেম তিন শ্রমিক নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি প্রথম আলোকে জানান, দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে একটি শক্তিশালী তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। দুর্ঘটনার বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। এই কারখানা বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের (বিসিআইসি) নিয়ন্ত্রণাধীন বলে জানান তিনি।কারখানা সূত্র জানায়, কারখানার সার প্যাকিং ও ব্যাগিং করতে ট্রলি বেল্ট ব্যবহূত হয়। এ জন্য নির্দিষ্ট সময় অন্তর অন্তর বিদ্যুতের সুইচ বন্ধ করতে হয়।কারখানার উপব্যবস্থাপক (নিরাপত্তা) মো. মোফাজ্জল হোসেন প্রথম আলোকে জানান, শ্রমিকেরা সুইচ বন্ধ না করে কাজ করতে গেলে ট্রলি বেল্টের একটি তার ছিঁড়ে পড়ে। এতে পুরো বেল্ট বিদ্যুতায়িত হয়ে পড়ে। ফলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।দুর্ঘটনার সময় কারখানায় কর্মরত তাজুল ইসলাম ও মো. ইসমাঈল প্রথম আলোকে জানান, ‘আমরা কারখানার ওপরের অংশে কাজ করছিলাম। হঠাৎ আওয়াজ শুনে নিচে নেমে দেখি, পাঁচজন গুরুতর আহত অবস্থায় পড়ে আছেন।’কর্তৃপক্ষের অবহেলায় এ ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করেন তাঁরা। তবে কর্তৃপক্ষ এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।ছোটবেলায় বোঝার পর থেকেই শিখেছি ‘স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল’। এই কথাটা আমার মাথার ভেতর এমনভাবে ঢুকে আছে যে আমি আপ্রাণ চেষ্টা করি, নিজেকে ফিট রাখতে। যেহেতু আমি খেলোয়াড় ছিলাম, তাই আমাকে টিকে থাকার জন্য ফিট থাকতে হয়েছে। কিন্তু এই ফিট থাকাটা অতটা সহজ ছিল না।আসলে জীবনে নিজেকে ফিট রাখাটা খুব জরুরি। আমি হয়তো অতটা ফিট না। তবুও এই বয়সে আমি নিজেকে সুন্দর আর ফিট দেখতে চাই।এখনকার অনেক মেয়েদের মধ্যে একধরনের ভ্রান্ত ধারণা আছে। তারা মনে করে, না খেয়ে জিরো সাইজ হওয়াটাই সৌন্দর্য। এটাই ওদের কাছে কাছে ফিট থাকার মূলমন্ত্র। কিন্তু আমি মনে করি, ফিট থাকার প্রথম শর্ত হচ্ছে যে পরিমাণ ক্যালরিযুক্ত খাবার খাচ্ছে তা শারীরিক পরিশ্রমের মাধ্যমে ব্যয় করা। তাহলে বাড়তি মেদ জমবে না। আমি ছোটবেলা থেকে ব্যায়াম করি। পাশাপাশি খাওয়া-দাওয়াটাও সঠিকভাবে করার চেষ্টা করি। অনেকে আছে, যারা সকালে নাশতা খায় না। মনে করে, যাক এক বেলা তো কম খেলাম। পরে দেখা যায়, খিদে বেশি পাওয়ায় তারা দুপুরে দ্বিগুণ পরিমাণ খাবার খায়। সে কারণে আমি নিজে সকালের নাশতাটা খুব ভালোভাবে করি। দুপুর, রাতে মাছ, মাংস, সবজি সবই খাই। তবে পরিমাণে কম। যেদিন বেশি খেয়ে ফেলি পরদিন ব্যায়াম আর খাওয়াটার দিকে খেয়াল করি। আমার প্রিয় কাঁচা ছোলা। নিয়মিত না হলেও খাওয়ার চেষ্টা করি। কলা অনেকে খায় না ক্যালরি বেশি বলে। কিন্তু আমি নিয়মিত কলা খাই । ডিমের কুসুম সপ্তাহে দুটি আর পাঁচ দিন ডিমের সাদা অংশটা খাই।আমার ফিট থাকার কোনো রহস্য আসলে নেই। নিয়ন্ত্রিত জীবন যাপন করতে চেষ্টা করি। মানসিকভাবে ভালো থাকতে চাই। খেজুর, দেশি ফল, আমার প্রতিদিনের রুটিনে থাকে কম-বেশি।আর হাসিখুশি থাকার চেষ্টা করি।লিওনেল মেসি, ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো নাকি ফ্রাঙ্ক রিবেরি? ব্যালন ডি’অরের দাবিদার হিসেবে এই তিনজনের নামই সবার আগে আসবে। তবে জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচকে ভুলে গেলে চলবে না! এই মৌসুমে যা খেলছেন, তাতে তো নয়ই!পরশু কথাটা নিজেই আরেকবার মনে করিয়ে দিলেন ইব্রা। চ্যাম্পিয়নস লিগে আন্ডারলেখটের সঙ্গে গোল করে ছুঁয়ে ফেলেছেন গ্রুপ পর্বে সবচেয়ে বেশি গোলের রেকর্ড। দেশের হয়ে বিশ্বকাপে না খেলার হতাশা ঘোচার নয়, তবে পিএসজিতে ওটা যে কোনো প্রভাব ফেলতে পারছে না তা প্রতিনিয়তই বুঝিয়ে দিচ্ছেন ইব্রা।ব্যালন ডি’অর নিয়ে দৃশ্যত খুব মাথাব্যথা নেই এই সুইডিশ স্ট্রাইকারের, ‘আমি এটা নিয়ে একদমই ভাবছি না। এটা আমার জন্য খুব একটা গুরুত্বপূর্ণও নয়।’ এরপরই যেন দেখা গেল ‘আসল’ ইব্রাকে, ‘আমি যে সেরা সেটা জানতে এই ট্রফিটা জেতার দরকার নেই।’আসলেই, পুরস্কার দিয়ে তো আর ইব্রাকে চেনা যাবে না! ওয়েবসাইট।কপিরাইট আইনের সুষ্ঠু প্রয়োগ হলে সৃষ্টিশীল মানুষ উপকৃত হবে। মেধার মূল্যায়ন করা হবে। এটি তাদের প্রাপ্য অধিকার। এ জন্য সরকারি-বেসরকারি উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসা প্রয়োজন। গতকাল ঢাকায় আয়োজিত এক কর্মশালায় বক্তারা এসব কথা বলেন। কপিরাইট আইনের প্রয়োগ ও অপব্যবহার নিয়ে অনুষ্ঠিত এ কর্মশালার আয়োজন করে বাংলাদেশ কপিরাইট অ্যান্ড আইপি ফোরাম (বিসিআইপিএফ) ও কপিরাইট অফিস, বাংলাদেশ। কর্মশালায় প্রধান অতিথি সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব রণজিৎ কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘কপিরাইট আইন সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে হবে। এ জন্য কপিরাইট অফিস কাজ করছে। তবে বেসরকারিভাবে অন্যদেরও এগিয়ে আসতে হবে।’ কর্মশালায় বক্তব্য দেন কপিরাইট অফিসের নিবন্ধক মনজুর মোরশেদ চৌধুরী, বাংলাদেশ কপিরাইট অ্যান্ড আইপি ফোরামের প্রধান নির্বাহী এ বি এম হামিদুল মিসবাহ, কপিরাইট বিশেষজ্ঞ মোহাম্মদ মনজুরুর রহমান, মাইক্রোসফটের বাংলাদেশ প্রতিনিধি পুবুডু বাসনায়াকেসহ অনেকে। দিনব্যাপী কর্মশালায় ম্যাজিস্ট্রেট, জেলা দায়রা জজ, পাবলিক প্রসিকিউটর ও কপিরাইটের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ৩০ জন প্রতিনিধি অংশ নেন। —বিজ্ঞপ্তি |
নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার মধ্যম সুন্দলপুর এলাকায় ছাত্রদলের বিবদমান দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়েছে। গত শুক্রবার দিবাগত রাতে উপজেলার মধ্যম সুন্দলপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এতে উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি মাঈনউদ্দিন সুমনসহ (২৭) অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত মাঈনউদ্দিনকে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে নোয়াখালী শহরের প্রাইম হাসপাতালে ভর্তি করান। এ ছাড়া বাকি আহত ব্যক্তিদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, অভ্যন্তরীণ বিরোধের জের ধরে বৃহস্পতিবার ছাত্রদলের কর্মী ইসমাইল হোসেনকে মারধর করে দলীয় প্রতিপক্ষ। এ ঘটনার জের ধরে শুক্রবার রাত আটটার দিকে মধ্যম সুন্দলপুর পোলের গোড়ায় ছাত্রদলের সভাপতি মাঈনউদ্দিনের ওপর হামলা চালায় একই দলের ইসমাইলের পক্ষের কর্মীরা। এ নিয়ে বেশ কিছুক্ষণ ওই এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলেও কাউকে আটক করতে পারেনি। সুন্দলপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. ইলিয়াছ প্রথম আলোকে বলেন, ছাত্রদলের অভ্যন্তরীণ বিরোধের জের ধরে ওই মারামারির ঘটনাটি ঘটে।ভারতের অন্ধ্র প্রদেশের বেঙ্গালুরু-হায়দরাবাদ মহাসড়কে আজ বুধবার ভোরে তেলবাহী একটি লরির সঙ্গে বাসের সংঘর্ষে ৪০ জন নিহত হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। দুর্ঘটনায় বাসটিতে আগুন ধরে যায়। টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে এ কথা জানানো হয়।খবরে বলা হয়, শীতাতপনিয়ন্ত্রিত বাসটি ৪৩ জন যাত্রী নিয়ে বেঙ্গালুরু থেকে হায়দরাবাদ যাচ্ছিল। বাসটি ভোরে অন্ধ্র প্রদেশের মাহবুবনগরে পৌঁছালে এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার পর কয়েকজন যাত্রী বাসের জানালা ভেঙে বাইরে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হন। তবে বেশির ভাগ যাত্রী ভেতরে আটকা পড়েন। বাসযাত্রীরা হায়দরাবাদের বাসিন্দা বলে জানা গেছে।দুর্ঘটনার পর বেঙ্গালুরু-হায়দরাবাদ মহাসড়কে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ও সরকারি কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গেছেন। উদ্ধারকাজ চলছে।সপ্তম রাউন্ড শেষে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে ফায়ার সার্ভিস ও সুলতানা কামাল স্মৃতি পাঠাগার। কাল সুলতানা কামাল স্মৃতি পাঠাগার সোনালী ব্যাংককে (২.৫-১.৫), ফায়ার সার্ভিস মহাখালী প্রদীপ সংঘকে (৪-০), ডেসটিনি ২০০০ ফরাশগঞ্জকে (২.৫-১.৫) এবং বশির মেমোরিয়াল প্রতিভা দাবা গোষ্ঠীকে (২.৫-১.৫) হারিয়েছে। ২-২ পয়েন্টে ড্র হয়েছে চেস ক্লাব নাইট ও অগ্রণী ব্যাংকের ম্যাচটি।ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের সাংসদ র আ মা উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। শহরের টি এ রোডের ফকিরাপুল এলাকায় সকাল থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত বিদ্যুতের খুঁটির মধ্যে মাইক ব্যবহার করে প্রচারণা চালাচ্ছেন বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন। |
অবৈধভাবে অনুপ্রবেশের অভিযোগে ইরাকের স্বায়ত্তশাসিত কুর্দিস্তান অঞ্চলে বিনা বিচারে ৭৯ জন বাংলাদেশি কয়েক মাস ধরে আটক রয়েছেন। ২৬ সেপ্টেম্বর কুর্দিস্তানের স্থানীয় ইংরেজি অনলাইন সংবাদমাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়েছে।ওই বাংলাদেশিরা কুর্দিস্তানের সুলাইমানি কারাগারে আটক রয়েছেন বলে সংবাদমাধ্যমটি দাবি করেছে। আটক হওয়া ব্যক্তিদের দেশের পরিবর্তে ইরানে পাঠানো হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।তবে কারাপ্রধান হিওয়া শেখ আলী বলেছেন, ‘আটক ব্যক্তিদের সবাইকে দেশে পাঠানোর ব্যাপারে আমরা আদালতের আদেশের অপেক্ষায় আছি। আমরা তাঁদের থাকা-খাওয়ার প্রয়োজনীয় সবকিছুই দিচ্ছি।’ হিওয়া শেখ আলী বলেন, কুর্দিস্তান অঞ্চলে কয়েক শ অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসী রয়েছেন।কুর্দি সংবাদমাধ্যম রুদাও তাদের এক প্রতিবেদনে আটক হওয়া তিন বাংলাদেশির বক্তব্য প্রকাশ করেছে। তাঁরা হলেন আমজাদ আলী, মুহাম্মদ আতিক ও শামসু মিয়া।সুলাইমানি পুলিশ জানিয়েছে, তারা এ পর্যন্ত ১৮০ জন বাংলাদেশিকে আটক করেছে। তাঁদের অধিকাংশকেই দেশে পাঠানো হয়েছে। কেউ আবার বিভিন্ন কোম্পানিতে কাজ নিয়ে ওই দেশে থাকার সুযোগ পেয়েছেন। রুদাও ডট নেট, ইকুর্দ ডট নেট।২০১০-ই কি তাহলে ফিরে আসছে আবার! ‘বাংলাওয়াশের’ সেই সিরিজের প্রথম ম্যাচেও হানা দিয়েছিল বৃষ্টি। ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে বাংলাদেশ ম্যাচটা জিতেছিল ৯ রানে। কাল নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আরেকটি হোম সিরিজের প্রথম ম্যাচটাও বৃষ্টিতে ভিজে গেছে এবং এই ম্যাচেও বাংলাদেশ জিতেছে ৪৩ রানে। ইতিহাস ফিরিয়ে আনার আশা তো করাই যায়।ম্যাচের আগের দিন তত্ত্ব-টত্ত্ব সবই ছিল শিশির নিয়ে। শিশিরভেজা সন্ধ্যায় পরে বল করাটা কত কঠিন, সেটাই ব্যাখ্যা করে বুঝিয়েছিলেন দুই অধিনায়ক। কিন্তু কাল শিশিরের চেয়েও বড় সমস্যা এসে হাজির। নিউজিল্যান্ড ইনিংসের ২০ ওভার শেষে নামা বৃষ্টি ঝরল মিনিট পঁয়ত্রিশের মতো। ওই সময়ে খেলা শেষ হলেও বাংলাদেশ জিতে যেত ম্যাচটা। বৃষ্টি আইনে জিততে হলে ২০ ওভার শেষে ১০৮ রান দরকার ছিল নিউজিল্যান্ডের। কিন্তু স্কোরবোর্ডে তখন ৩ উইকেটে ৮২।খেলা তখনই বন্ধ না হলেও অবশ্য ১৯ বল বাকি থাকতেই জিতেছে বাংলাদেশ। প্রায় পৌনে দুই ঘণ্টা পর খেলা শুরু হলে নিউজিল্যান্ডের নতুন লক্ষ্য দাঁড়ায় ৩৩ ওভারে ২০৬। অর্থাৎ, নতুন করে শুরু হওয়ার পর ১৩ ওভারে করতে হবে ১২৪, ওভারপ্রতি রান সাড়ে ৯-এরও বেশি। এলিয়ট-অ্যান্ডারসন মিলে শুরুটা করলেন ঝোড়ো। মাহমুদউল্লাহর করা ২২তম ওভারেই অ্যান্ডারসন লং অনের ওপর দিয়ে হাঁকালেন দুই ছক্কা। সোহাগ গাজীর পরের ওভারে এলিয়টের দুই বাউন্ডারি আর শেষ বলে ডিপ মিড উইকেট দিয়ে অ্যান্ডারসনের ছক্কায় এল ১৭ রান। রান ও বলের পার্থক্য কিছুটা কমে তখন কিউইদের জয়ের জন্য দরকার ৬০ বলে ৮৬ রান।কে জানত, রুবেল হোসেনের চমক তখনো বাকি! বৃষ্টির আগেই এক উইকেট নেওয়া রুবেল বৃষ্টির পর নিজের প্রথম ওভারেই করে ফেললেন হ্যাটট্রিক। ওভারের তৃতীয় বলে অ্যান্ডারসন বোল্ড, পরের বলে নতুন ব্যাটসম্যান ম্যাককালাম কিছু বুঝে ওঠার আগেই ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ক্যাচ দিলেন বদলি ফিল্ডার শামসুর রহমানের হাতে। হ্যাটট্রিক বলটা প্রায় ওয়াইডই করে ফেলেছিলেন রুবেল। কিন্তু গ্ল্যান্স করতে যাওয়া নিশামের গ্লাভস ছুঁয়ে যাওয়া বল ঝাঁপিয়ে পড়ে গ্লাভসবন্দী করলেন উইকেটকিপার মুশফিক। কিছুদিন আগে প্রিমিয়ার লিগে হ্যাটট্রিক করেও সেটার আনন্দ টের পেয়েছিলেন এক দিন পর। সেই আক্ষেপ থেকেই কিনা রুবেল কাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বড় মঞ্চেই করে নিলেন নিজের প্রথম হ্যাটট্রিকটা! ওয়ানডেতে বাংলাদেশের হয়ে এই গৌরব আছে আর মাত্র দুজনের—শাহাদাত হোসেন ও আবদুর রাজ্জাকের।১২১ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ম্যাচটা নিউজিল্যান্ডের হাতছাড়া হয়ে গিয়েছিল সেখানেই। কিন্তু রুবেল অত তাড়াতাড়ি ছাড়বেন কেন? মাঝে এক ওভার বিরতি দিয়ে আবারও আঘাত আনলেন। এবারের শিকার নাথান ম্যাককালাম। মিড অফে মাশরাফির হাতে ক্যাচ দিয়ে রুবেলের পঞ্চম শিকার তিনি। টেস্টে একবার পাঁচ উইকেট পাওয়ার কৃতিত্ব থাকলেও ওয়ানডেতে সেটা পেলেন এই প্রথম। এরপর এলিয়টকেও ফিরিয়ে উইকেটের সংখ্যাটা নিয়ে গেলেন ছয়ে। ৫.৫-০-২৬-৬—রুবেল ছুঁয়ে ফেলেছেন কেনিয়ার বিপক্ষে বাংলাদেশের হয়ে সেরা বোলিং করা মাশরাফিকেও।ম্যাচ না জিতলেও টসে জেতায় পরে বল করার ইচ্ছা পূরণ হয়েছে নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক ব্রেন্ডন ম্যাককালামের। ২৫ রানে বাংলাদেশের ৩ উইকেট নিয়ে বোলাররা শুরুটাও করেছিলেন দারুণ। এমন নড়বড়ে শুরুর পর সাকিববিহীন বাংলাদেশের ধসে পড়াটাই হতো স্বাভাবিক। কিন্তু অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে নাঈম ইসলাম এতটাই বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়ে গেলেন যে, শেষ পর্যন্ত নিউজিল্যান্ডের সামনে দাঁড় করানো গেছে ২৬৬ রানের টার্গেট।দলের ২৫ রানে এনামুলের বিদায়ের পর চতুর্থ উইকেটে নাঈমের সঙ্গে মুশফিকের ১৫৪ রানের জুটিতেই ঘুরে যায় বাংলাদেশের ইনিংস। নাথান ম্যাককালামের বলে স্লগ সুইপে আর এলিয়টের স্লোয়ারকে ফুলটস বানিয়ে স্কয়ার লেগ দিয়ে মেরেছেন দুই ছক্কা। সঙ্গে আরও ৮টি বাউন্ডারিতে ৯৮ বলে ৯০ রান মুশফিকের। মাত্র ১০ রানের জন্য সেঞ্চুরিটা হলো না নিশামের বলে কট বিহাইন্ড হয়ে। ওয়ানডেতে নার্ভাস নাইনটিতে এর আগে একবারই আউট হয়েছেন মুশফিক। ২০০৯ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বুলাওয়েতে ৯৮ রানের সেই ইনিংসের দুই বছর পর অবশ্য হারারেতে পেয়ে যান নিজের প্রথম ওয়ানডে সেঞ্চুরিটা। দুর্ভাগ্য, দ্বিতীয় সেঞ্চুরিটা কাল আসি আসি করেও এল না।সেঞ্চুরি করতে পারতেন এক ডজন বাউন্ডারিতে ১১৫ বলে ৮৪ রান করা নাঈমও। ব্যক্তিগত রানই শুধু নয়, মুশফিক চলে যাওয়ার পর অনেকটা সময় বাংলাদেশের ইনিংস একাই টেনে নিয়ে গেছেন নাঈম। সাউদির বলে কট বিহাইন্ড হওয়ার আগে ষষ্ঠ উইকেটে মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে ৫১ রানের জুটিটাও জয়ের মতো রান এনে দেওয়ার একটা অনুঘটক।তবে নাঈম-মুশফিকের অমন ব্যাটিংয়ের পরও ম্যান অব দ্য ম্যাচ রুবেলই। আরেকটি ‘বাংলাওয়াশের’ স্বপ্নটাকে রঙিন করছে এই ঘটনাও। রুবেল ম্যান অব দ্য ম্যাচ হওয়ায় ২০১০-এর সিরিজ যেখানে শেষ হয়েছিল, এবার শুরু হলো সেখান থেকেই। সর্বশেষ সিরিজের শেষ ম্যাচেও যে ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়েছিলেন রুবেলই!বাংলাদেশ: ৪৯.৫ ওভারে ২৬৫ নিউজিল্যান্ড: ২৯.৫ ওভারে ১৬২ ফল: বাংলাদেশ ৪৩ রানে জয়ী (ডি/এল১৯৯৪ উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগে অভিষেক সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় সেলেস্টাইন বাবায়েরোরের (১৬ বছর ৮৭ দিন)। কিন্তু ৩৭ মিনিটেই লাল কার্ড দেখে অনাকাঙ্ক্ষিত এক রেকর্ডও (কম বয়সে লাল কার্ড) করেন আন্ডারলেখটের নাইজেরিয়ান ফুটবলার।বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পরিচালিত ট্রাস্ট টেকনিক্যাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের (টিটিটিআই) নবম ব্যাচের ৪২৭ জন প্রশিক্ষণার্থীর মাঝে গতকাল রোববার গাজীপুর সেনানিবাসে সনদ বিতরণ করা হয়েছে। সেনাবাহিনীর লে. জেনারেল আনোয়ার হোসেন তাঁদের হাতে সনদ তুলে দেন। এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন টিটিটিআইয়ের অধ্যক্ষ লে. কর্নেল (অব.) আসাদুর রহমান। এতে ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইশতিয়াক আহমেদ চৌধুরী, গাজীপুর কর অঞ্চলের কমিশনার বোরহান উদ্দীন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।গাজীপুর প্রতিনিধি |
রাজধানীর মিরপুরে গতকাল শনিবার বিকেলে বহুতল ভবন থেকে পড়ে রিফাত তামান্না চৈতী (১৭) নামের এক কলেজছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। সে রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানার একটি স্থানীয় কলেজে উচ্চমাধ্যমিক প্রথম বর্ষের ছাত্রী ছিল।ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্র জানায়, বিকেল পাঁচটার দিকে চৈতীকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসেন তার স্বজনেরা। সন্ধ্যা ছয়টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।চৈতির বোন জাকিয়া আফরোজ জানান, তাঁদের বাসা ক্যান্টনমেন্টের পশ্চিম মানিকদি এলাকায়। বেলা সাড়ে তিনটার দিকে চৈতী মিরপুর দক্ষিণ মণিপুরে ছয়তলার বাড়ির ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ে। ওই বাড়িতে তাঁদের মামা-মামি থাকেন।জাকিয়া বলেন, একটি ছেলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল চৈতীর। সম্পর্ক নিয়ে বেশ সমস্যাও চলছিল। ধারণা করা হচ্ছে, ওই সমস্যার জেরে চৈতী আত্মহত্যা করেছে।ভারতের প্রথম সুপার হিরোদের একজন তিনি। কিন্তু হৃতিক রোশন জানালেন, কৃষ থ্রিতে নায়ক হওয়ার বদলে খলনায়কই হতে চেয়েছিলেন। ছবিতে বিবেক ওবেরয় যে খলনায়কের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন, সেই চরিত্রটি বাবার কাছে চেয়েছিলেন হৃতিক। কিন্তু বাবা, ছবির পরিচালক রাকেশ রোশন ছেলের আবদার শোনেননি। হৃতিক বলেছেন, ‘কাল’ নামের এই খলচরিত্রটি ছবিতে বড় ভূমিকা পালন করেছে। পরে বিবেকের অভিনয় দেখে হৃতিকের মনে হয়েছে, কাল চরিত্রটির জন্য বিবেকই ছিল সবচেয়ে যোগ্য।এদিকে কৃষ থ্রি ছবির কপিরাইট নিয়ে ঝামেলা তৈরি হয়েছে। উদয় সিং রাজপুত নামের মধ্যপ্রদেশের এক লেখক দাবি করেছেন, এই ছবির চিত্রনাট্য তাঁর লেখা। কিন্তু কপিরাইটের লঙ্ঘন করে তাঁকে কোনো কৃতিত্ব দেননি পরিচালক। ছবিটি মুক্তির ঠিক আগে এর ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে আবেদন করেন রাজপুত। পিটিআই।সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মীর মোহাম্মদ নাছিরউদ্দিনকে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত নয়টার দিকে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় যাওয়ার প্রস্তুতি নেওয়ার সময় অভিবাসন পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে।পুলিশ সূত্র জানায়, বুধবার চট্টগ্রাম নগরের আলমাস সিনেমা হলের সামনে সিএনজিচালিত একটি অটোরিকশায় আগুন দেওয়ার ঘটনায় দুজন অগ্নিদগ্ধ হন। এ ঘটনায় চকবাজার থানায় মামলা করা হয়। এ ছাড়া একই দিন কাজীর দেউরীর নাসিমন ভবনের সামনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করা হয়। এ দুই মামলায় মীর নাছিরকে আসামি করা হয়। চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অভিবাসন পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘ঢাকায় যাওয়ার প্রস্তুতি নেওয়ার সময় তাঁকে (মীর নাছির) গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক ঘটনায় দুটি মামলা রয়েছে।’ এ দুই মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে বলে এডিসি মিজানুর রহমান জানান। এদিকে মীর নাছিরকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার চিতলা ও গোবিন্দহুদা গ্রামে গতকাল রোববার দলছুট একটি হনুমানের কামড়ে নারী-শিশুসহ ৪০ জন আহত হয়েছে। হনুমানটি ১১টি গরুকেও কামড় দিয়ে ক্ষতবিক্ষত করেছে। পরে বন্দুকধারী দুই যুবলীগের নেতার সহযোগিতায় হনুমানটিকে গুলি করে ও পিটিয়ে হত্যা করা হয়।গতকাল সকাল আটটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত এ ঘটনা ঘটে। আহত ব্যক্তিদের চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল ও দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফরিদুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। হনুমানের কামড়ে আহত চিতলা গ্রামের আজগার আলী (৪৫) জানান, সকাল আটটার দিকে পাগলা হনুমানটি চিতলা গ্রামের আবদুস সাত্তারের স্ত্রী আছিয়াকে কামড় দেয়। এরপর পর্যায়ক্রমে ওই গ্রামের আয়েশা খাতুন (২৫), আশরাফ আলী (৩৫), কমল হোসেন (২৮), রোউজান (৪০), জাহিদা (৩৫); গোবিন্দহুদা গ্রামের জেসমিন খাতুন (২২), সুমন হোসেন (২৬) ও ছমিরন নেছাসহ (৭০) প্রায় ৪০ জনকে কামড় ক্ষতবিক্ষত করে। এ সময় ওই এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।খবর পেয়ে ইউএনও ফরিদুর রহমান ও প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আ হা ম শামীমুজ্জামান ঘটনাস্থলে পৌঁছান। অবস্থা বেগতিক হলে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান হাবীবের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। এ সময় গ্রামবাসী হনুমানটিকে গুলি করে হত্যার দাবি তুললে পুলিশের পক্ষ থেকে অপারগতা প্রকাশ করা হয়।পরে দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজুল আলম বিষয়টি চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সাংসদ আলী আজগারকে জানান। বিকেল সাড়ে পাঁচটায় দর্শনা থেকে যুবলীগের চার নেতা চারটি বন্দুক নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। এরপর গ্রামবাসী লাঠিসোঁটা নিয়ে হনুমানটিকে ধাওয়া করেন। হনুমানটি চিতলা গ্রামের আবদুর রাজ্জাকের তেঁতুলগাছের মগডালে উঠে আশ্রয় নেয়। একপর্যায়ে যুবলীগের নেতা মো. স্বপন আলী তাঁর ব্যক্তিগত বন্দুক দিয়ে পর পর তিনটি গুলি ছুড়লে গুলিবিদ্ধ হনুমানটি মাটিতে পড়ে যায়। এরপর গ্রামবাসী পিটিয়ে এটিকে হত্যা করেন।সিরাজুল আলম দাবি করেন, বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে সাংসদকে না জানালে আরও বেশি গ্রামবাসী আক্রান্ত হতেন। চিতলা গ্রামের আসলাম আলী (৩৫) জানান, দলছুট হনুমানটি প্রায় আড়াই বছর ধরে চিতলা ও আশপাশের গ্রামে অবস্থান করছে। গ্রামবাসীই হনুমানটিকে খেতে দিতেন। প্রায় দুই সপ্তাহ আগে চিতলা গ্রামের আবদুল মজিদের বাড়িতে একটি কুকুরের বাচ্চাকে নিয়ে খেলার সময় মা-কুকুর ওই হনুমানকে কামড় দিয়ে ক্ষতবিক্ষত করে।আ হা ম শামীমুজ্জামান জানান, হনুমানটি কুকুরের কামড়ে জলাতঙ্কে আক্রান্ত হয়ে পড়ায় পাগল হয়ে যায় এবং মানুষকে উপর্যুপরি কামড় দেয়। হনুমান যাদেরকে কামড় দিয়েছে, তাদেরও উপযুক্ত চিকিৎসা দেওয়া প্রয়োজন। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সাইদুর রহমান জানান, হাসপাতালটিতে চিকিৎসা নিতে আসা আটজনকে ‘অ্যানিমেল বাইট’ বিষয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। |
‘বদ্ধ পরিবেশে বেড়ে উঠছে আমাদের সন্তানেরা। তাদের জন্য প্রয়োজন সুস্থ ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশ। এ জন্য আমাদের সবাইকে সচেতন ও দায়িত্ববান হতে হবে।’গতকাল শনিবার সকালে চট্টগ্রাম নগরে এক সাইকেল শোভাযাত্রার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা এ কথা বলেন। ‘সুস্থ থাকুন, প্রতিদিন হাঁটার ও সাইকেল চালানোর অভ্যাস করুন’ এ স্লোগান সামনে রেখে এ শোভাযাত্রার আয়োজন করে চিটাগাং গ্রিন সিটি।চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন পরিবেশবাদী সংগঠক শরীফ চৌহান, আবৃত্তি শিল্পী রাশেদ হাসান, চিটাগাং গ্রিন সিটির সভাপতি মো. জুনাব আলী প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সভাপতি মহসিন চৌধুরী।অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, দূষণমুক্ত পরিবেশ ও যানজটমুক্ত নগর গড়তে নগরবাসীকে সাইকেল চালানো ও হাঁটার প্রতি জোর দিতে হবে।পরে অতিথিরা বেলুন উড়িয়ে সাইকেল শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন। চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে থেকে শুরু হয়ে নগরের বায়েজিদ থানার রুবি গেট এলাকায় পৌঁছে এসে শেষ হয়।খালেদা: গ্রেনেড হামলা আমরা করিনি, আপনারাই করেছেন।হাসিনা: রাত ১১টায় পারমিশন দিয়েছেন, সেটাও মনে আছে। এসব কথা আপনাদের মুখে মানায় না।খালেদা: মুক্তাঙ্গনে সমাবেশ ছিল। সেখান থেকে যে ভেন্যু পরিবর্তন করে আপনাদের অফিসে নিয়ে গেছেন, সেটা পর্যন্ত আমাদের জানাননি। এসব পুরোনো কথা বাদ দেন। এখন আপনাকে আমি বলছি, যদি সত্যিকারের আলোচনা করতে আন্তরিক হন, তাহলে আমাদের কর্মসূচির পরে...হাসিনা: আমরা নিশ্চয় ঝগড়া করতে চাই না।খালেদা: আপনি তো ঝগড়া করছেনই।হাসিনা: আপনি একতরফাই তো বলে যাচ্ছেন। আমাকে তো কথা বলারই সুযোগ দিচ্ছেন না।খালেদা: আমি একতরফা বলব কেন। আপনি কথা বলছেন আমি জবাব দিচ্ছি শুধু।হাসিনা: আমি তো আপনার সঙ্গে কথা বলারই সুযোগ পাচ্ছি না।খালেদা: আপনি বারবার বলছেন হরতাল হরতাল। হরতাল এখন প্রত্যাহার হবে না। আমাদের কর্মসূচি শেষ হলে তারপর যদি...আপনি জানেন। আপনি যদি...হাসিনা: হরতালের নামে মানুষ খুন করা অব্যাহত রাখবেন?খালেদা: আমি মানুষ খুন করতে চাই না। আপনারা মানুষ খুন করছেন। কালকেও নয়জন মানুষ আমার খুন করেছেন আপনারা।...আপনার ছাত্রলীগ যুবলীগ করে না?হাসিনা: না।খালেদা: আপনার ছাত্রলীগ-যুবলীগের আমরা অস্ত্রসহ ছবি দেখাতে পারব। আপনার ছাত্রলীগ-যুবলীগ কীভাবে খুন করে নিরীহ মানুষকে।হাসিনা: বললাম তো খুনের রাজনীতি আমরা করি না; বরং আমি দেখি...খালেদা: ...আপনাদের তো পুরোনা অভ্যাস। আপনারা সেই স্বাধীনতার পর থেকে ’৭১-এ যখন ক্ষমতায় ছিলেন তখনো এই হত্যা করেছেন। এত মানুষ হত্যা করেছেন। এগুলো ভুলে গেছেন আপনি?হাসিনা: একাত্তরে আমরা মানুষ হত্যা করেছি?খালেদা: হ্যাঁ অবশ্যই। একাত্তরের পরেহাসিনা: যুদ্ধপরাধীদের রক্ষার জন্য ...খালেদা: যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষার জন্য নয়...। আপনারা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার যদি ঠিকমতো করতেন তাহলে আমরা পূর্ণ সমর্থন দিতাম। কিন্তু আপনারা সেই ট্রাইব্যুনাল করেননি। না করে, একতরফা করেছেন এবং আপনার দলে যে অনেক যুদ্ধাপরাধী আছে, সেগুলো একটাও ধরেননি। সেগুলোকে একটাও কেন ধরেননি?আপনি তো প্রধানমন্ত্রী নন। দলের প্রধানমন্ত্রী। আপনি তো দেশের প্রধানমন্ত্রী হতে পারেননি। নিরপেক্ষতার ঊর্ধ্বে আপনি যেতে পারেননি। তবে ...না হলে, আমার সঙ্গে এই আচরণ তো আপনারা করতেন না, যা করেছেন আপনারা। আমার সঙ্গে যে আচরণ করেছেন, সেদিন আমার পার্টি অফিসে আপনারা যে আচরণ করলেন, এরপর আর বলতে হবে? বিরোধীদলীয় নেতাকে আপনারা সম্মান দিতে জানেন না। কিসের গণতন্ত্রের কথা বলেন আপনি?হাসিনা: আপনার কথার জবাব দিতে গেলে আমাকে তো সেই ২০০১ থেকে অনেক কথা বলতে হবে।খালেদা: সেটার জবাব আমিও দিতে পারি। আপনি দেবেন আমিও দিতে পারি...হাসিনা: ...এরশাদ বা তাঁর দলের সাথে কী কী করেছিলেন। আর ২০০১ সালে...খালেদা: একাত্তর সালে আমরা কিছু করিনি। এরশাদের সময় যত করেছেন আপনারা। এরশাদ যখন একটি নির্বাচিত সরকারের কাছ থেকে ক্ষমতা নিল, তারপর আপনি বললেন আই এম নট আনহ্যাপি। আপনি যখন বিবিসিকে বললেন, তারপরে আর কি থাকে?...ফখরুদ্দীন-মইনুদ্দিন কোন সংবিধানের অধীনে ক্ষমতা নিল...হাসিনা: ফখরুদ্দীন-মইনুদ্দিন আপনার চয়েজ ছিল।খালেদা: ফখরুদ্দীন-মইনুদ্দিন আমার চয়েজ ছিল না। আপনার চয়েজ ছিল। আপনি নিজে বলেছেন আমার আন্দোলনের ফসল। এগুলো ভুলে যান কেন? মানুষ তো ভুলে না সেগুলো।হাসিনা: নয়জন অফিসার ডিঙিয়ে মইনুদ্দিনকে আপনি আর্মি চিফ বানিয়েছিলেন।খালেদা: আপনি এমন অনেক অফিসারকে বাড়ি পাঠিয়েছেন। সেটা নয়জন না সাতজন, সেটা কথা নয়। আপনি অনেককে ডিঙিয়ে বাড়ি পাঠিয়েছেন। মইনুদ্দিন যেই থাকুক না কেন যখন এটা করল, সেখানে আপনারা...সেই ইয়েতে গেলেন কেন আপনি। সেটা সংবিধানসম্মত হয়নি। সংবিধানসম্মত ছিল না। সেটাতে কেন গেলেন আপনি? সেদিন তো আপনি মনে করেননি। আমরা দুই দলই তখন ক্ষমতার বাইরে... তখন তো একবার মনে করলেন না আমরা আলোচনা করি। ফখরুদ্দীন-মইনুদ্দিনের এখানে যাওয়া ঠিক হবে না। এরা সংবিধানসম্মত নয়। আপনি তো সেটা মনে করলেন না। চলে গেলেন সেখানে হাসিমুখে।হাসিনা: ...আমি আগুনে বসেও হাসিখুশি থাকি। আবার বাবা, মা, ভাই...খালেদা: ...অতীত ছেড়ে দিয়ে আমি বলতে চাই এখন সামনের দিকে কী করে আগাবেন...আপনার যদি সত্যি সৎ উদ্দেশ্য থাকে তাহলে আমরা সামনের দিকে কী করে এগোবো...সামনের দিকে এগোতে চাই।হাসিনা: আপনি তো অনেক অভিযোগ করলেন। আমি তো এত অভিযোগ করতে চাই না। ছোট্ট রাসেল..., ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালিয়ে আমাকে হত্যার চেষ্টা করেছেন।খালেদা: দেখেন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা আপনারা করিয়েছেন। আপনাকে হত্যা করতে কেউ চায়নি।...আপনি যত থাকবেন, তত আমাদের জন্য ভালো।...আপনি যত এ রকম অশ্লীল ভাষায় কথা বলবেন, তত আমাদের জন্য ভালো।হাসিনা: ১৫ আগস্ট আপনি যখন কেক কাটেন...খালেদা: ১৫ আগস্ট আমার জন্মদিন। আমি কেক কাটবই।হাসিনা: খুনিদের উৎসাহিত করার জন্য যখন আপনি কেক কাটেন।...খালেদা: ...এটা বলবেন না। ১৫ আগস্ট বাংলাদেশে কোনো মানুষের জন্ম হবে না? কোনো মানুষ পালন করবে না? এগুলো বাদ দেন। কথায় কথায় আপনারা বলেন। অনেক কথা বলেন জিয়াউর রহমানকে। আরে জিয়াউর রহমান তো আপনাদের নতুন জীবন দান করেছে। এগুলো কথা বইলেন না। বুঝেছেন! আপনারা তো বাকশাল ছিলেন।... আপনারা জিয়াউর রহমানের বদৌলতে আওয়ামী লীগ হতে পেরেছেন। আদার ওয়াইজ আওয়ামী লীগ হতে পারতেন না।হাসিনা: ... রাসেলকে তো এই বাসায় ঘুরতেও দেখেছেন।...খালেদা: নতুন করে শুরু করি। সেটাতে আপনি রাজি থাকেন, আসেন আমরা সুন্দর আলোচনা করি। আমার আলোচনা করতে আপত্তি নাই। কিন্তু সেই ডেট হতে হবে আমার হরতাল শেষ হওয়ার পর।হাসিনা: আপনার হরতাল প্রত্যাহার করবেন না?খালেদা: না, আমি হরতাল প্রত্যাহার করতে পারব না। এটা তো আমার ডিসিশন না। এটা ১৮ দলের ডিসিশন। আমি এটা কী করে একলা করব।হাসিনা: আপনি ১৮ দলকে ডেকে নিয়ে বলেন...খালেদা: এখন সময় নাই। আপনি যে তাড়া করতেছেন। এখন তো খুঁজে পাওয়া যাবে না লোকজনকে। আপনি তো সবার পেছনে পুলিশ লাগিয়ে রেখেছেন। কী করে মানুষ পাওয়া যাবে, বলেন?হাসিনা: আমরা পুলিশ লাগিয়ে রাখব কেন?খালেদা: আপনি লাগিয়ে রাখবেন না তো কে রাখবে? পুলিশ...কার কথায়...আমার কথায় চলে? আপনি তো সবার বাসায় বাসায় রেড করছেন। বস্তি থেকে পর্যন্ত আপনি লোক ধরে নিয়ে যাচ্ছেন।হাসিনা: যেখানে বোমা ব্লাস্ট হয়ে যাবে...খালেদা: বোমা ব্লাস্ট হয়ে যাবে। বোমা ব্লাস্ট তো আপনারা করেন আর নাম দেন আমাদের। এগুলো তো আপনাদের পুরাতন ঐতিহ্য।আমি বলতে চাই, যদি আপনারা ২৯ তারিখের পরে করেন আমি রাজি আছি। আমি নিশ্চয় কথা বলতে রাজি আছি।হাসিনা: আপনি আলটিমেটাম দিলেন দুই দিনের। আমি দুই দিনের মধ্যেই ফোন করলাম। অথচ এখন হরতালও করবেন আবার বলছেন ২৯ তারিখের পরে। আপনি কী বক্তৃতা দিলেন আর আজকে এখন কী বলছেন, আপনি একটু ভেবে দেখেন।খালেদা: আমি বলেছি আলোচনা চলুক, কর্মসূচিও চলবে।হাসিনা: আপনি নিজেই বলছেন দুই দিনের মধ্যে আলোচনা...হরতাল দেবেন না।...শুনেন আমার কথা...আমার এখানে ক্যামেরা নাই...খালেদা: আমার এখানে ক্যামেরা-টেমেরা নাই। আমি নিজেই কথা বলছি। আমি বাসায় বসে কথা বলছি। অফিসে হলে আমার জন্য সুবিধা হতো। ক্যামেরা-টেমেরা থাকত। টেলিভিশনে দেখব আপনারাই ক্যামেরা দেখাচ্ছেন।...যে বলেছে...টেলিভিশনে স্ক্রল দিয়েছে যে ওনার রেড টেলিফোন ঠিক আছে। তাকে স্যাক করেন। আমি এটা দেখতে চাই।হাসিনা: এক্সচেঞ্জে আমি খবর নিলাম। ফোন ঠিক আছে। ১০-১২ বার ফোন করেছি।খালেদা: ফোন ঠিক নাই। তাহলে বলতে চান আমরা কেউ ফোনে শুনছি না। ফোন বাজে আমরা কেউ শুনি না।হাসিনা: আমি কানে শুনব কী করে। গ্রেনেড হামলায় তো আমার এক কান এমনিতেই নষ্ট। ...ফোন আমি নিজে করেছি।খালেদা: আপনি নিজে করলে কী হবে। আপনি একটা ডেড ফোনকে... আপনি বলেছেন আপনি ফোন করেছেন।হাসিনা: ফোন রিং হচ্ছিলখালেদা: রিং হবে কী করে। যে ফোন ডেড, সেটা রিং হবে কী করে। এটাই তো মন-মানসিকতার পরিচয়। আপনি কি সত্যি কথা বলছেন কি না।হাসিনা: আমি সত্যি কথা বলছি। মিথ্যা বলার কিছু নেই...খালেদা: আমি কাল পর্যন্ত চেক করেছি। আপনি করতে পারেন।...ফোন চেক করে রিপোর্ট করেছি। আপনারা...লোকজন...কেউ আসেন। তারা তো আমাদের মানুষ বলে মনে করে না। কাজেই আসেও না, ডেড ফোন ঠিক করার গরজও বোধ করে না। রেড টেলিফোন কেন? আজকাল তো মোবাইল ফোন আছে, টিঅ্যান্ডটি আছে...হাসিনা: রেড টেলিফোনের দোষ দিয়ে খামাখা মিথ্যা বলার তো দরকার নেই।খালেদা: মিথ্যে বলব কিসের জন্য। যে টেলিফোন ডেড। ডেডকে ডেড বলবই তো। আপনি বললে তো হবে না যে ফোন বিজি ছিল। এটা বললে কেউ বিশ্বাস করবে না।হাসিনা: এক্সচেঞ্জে কালকে খবর নেওয়াই যাবে। এটা কোনো ব্যাপার না।খালেদা: কিন্তু আপনার গুলশান এক্সচেঞ্জ থেকে যে বলেছে, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। কারণ সে সত্য কথাটা বলেনি।হাসিনা: রেড টেলিফোন কিন্তু আলাদা এক্সচেঞ্জ। আরও ভালো করে জানবেন।খালেদা: আলাদা এক্সচেঞ্জই। টেলিভিশন স্ক্রল দিয়েছে। আপনি নিজে সামনে থাকলে দেখতেন।হাসিনা: আমি গণভবনের অফিসে বসে আছি। আমার অফিসে কোনো টেলিভিশন নেই।খালেদা: তাহলে কেন বলা হচ্ছে, টেলিফোন ঠিক আছে।হাসিনা: আপনার শিমুল বিশ্বাসের সাথে কথা হয়েছে...খালেদা: আপনার সঙ্গে কথাই ছিল যে এই টেলিফোনে কথা হবে আমাদের। আমি তো বসে আছি এখানে। আধা ঘণ্টা বসে আছি যে আপনার টেলিফোন আসবে। আমরা তো গোপন কিছু বলব না। এক সময় আমরা অনেক কথা বলেছি। এরশাদবিরোধী আন্দোলনে একসঙ্গে কাজ করেছি। কেন কথা বলব না। এখনো বলতে চাই, কাজ করতে চাই। আসুন দেশের...হাসিনা: আগামী ২৮ তারিখ আসেন। আমরা আলোচনা করি।খালেদা: না, আমি ২৮ তারিখ যেতে পারব না। আপনি যদি সত্যি আন্তরিক হন, ২৯ তারিখের পর ডেট দেন। আমি যাব।হাসিনা: আপনি কালকে বললেন...খালেদা: না, আমি কর্মসূচি দিয়ে ফেলেছি। এখন সম্ভব না।হাসিনা: আপনি নিজেই বলেছেন, দুই দিনের মধ্যে আলোচনার জন্য না ডাকলে হরতাল দেবেন।দুই নেত্রীর ফোনালাপ: পার্ট—৩ পড়তে ক্লিক করুনশেষ দুটি দলকেও পেয়ে গেল বাংলাদেশে অনুষ্ঠেয় ওয়ার্ল্ড টি-টোয়েন্টি। কাল আবুধাবিতে বাছাইপর্বের প্লে-অফে জিতে চূড়ান্ত পর্বে জায়গা করে নিয়েছে হংকং ও হল্যান্ড। হংকং পাপুয়া নিউগিনিকে ২৯ রানে এবং হল্যান্ড স্কটল্যান্ডকে হারিয়েছে ৮ উইকেটে। এর আগে আফগানিস্তান, আয়ারল্যান্ড, নেপাল ও সংযুক্ত আরব আমিরাতও উঠেছে মূল পর্বে। আজ ও আগামীকাল সেমিফাইনাল, ফাইনাল ও স্থাননির্ধারণী ম্যাচ দিয়েই নির্ধারিত হবে চূড়ান্ত পর্বে কে কোন গ্রুপে খেলবে।জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ দিয়ে তিন প্রার্থীর নাম প্রার্থী তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। হাইকোর্টের আদেশে কমিশন গতকাল রোববার তাঁদের নাম অন্তর্ভুক্ত করে। একই সঙ্গে নতুন করে সংশ্লিষ্ট আসনের ব্যালট পেপার ছাপার জন্য সরকারি ছাপাখানায় পাঠানো হয়েছে। এই তিনজনের নাম অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় ১৪৬ আসনের প্রার্থী সংখ্যা ৩৮৯-তে দাঁড়িয়েছে।তিন প্রার্থী হলেন নীলফামারী-১ আসনে জাতীয় পার্টির বর্তমান সাংসদ জাফর ইকবাল সিদ্দিকী, চট্টগ্রাম-৩ আসনে আওয়ামী লীগের মাহফুজুর রহমান ও স্বতন্ত্র প্রার্থী জামাল উদ্দিন চৌধুরী। ২৬ ডিসেম্বর হাইকোর্ট তাঁদের নাম প্রার্থী তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার জন্য ইসিকে নির্দেশ দেন।কমিশন সচিবালয় সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম-৩ আসনের প্রার্থী মাহফুজুর রহমানের বিরুদ্ধে খেলাপি ঋণের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও কমিশন এ-সংক্রান্ত হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক লিমিটেডের দাবি অনুযায়ী, ব্যাংকটি মাহফুজুর রহমানের কাছে সাড়ে আট কোটি টাকা পাবে।ব্যাংকের এই অভিযোগ সত্ত্বেও শুরুতে রিটার্নিং কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমানের মনোনয়নপত্র বৈধ করেন। এর বিরুদ্ধে জাসদের প্রার্থী নুরুল আক্তার আপিল করলে নির্বাচন কমিশন মাহফুজুর রহমানের মনোনয়নপত্র বাতিল করে দেয়। কিন্তু হাইকোর্ট ২৬ ডিসেম্বর প্রার্থী তালিকায় তাঁর নাম অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশ দেন।এ ছাড়া হাইকোর্ট কুমিল্লা-৮ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী এ এস এম কামরুল ইসলামের মনোনয়নপত্র বৈধ করার নির্দেশ দিয়েছেন। তবে এ বিষয়ে কমিশন এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। বর্তমানে এই আসনের একমাত্র প্রার্থী জাতীয় পার্টির নুরুল ইসলাম। কামরুল ইসলামের নাম প্রার্থী তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হলে এই আসনে ভোট গ্রহণ করতে হবে। সে ক্ষেত্রে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিতের সংখ্যা একজন কমে ১৫৩-তে দাঁড়াবে এবং ভোট গ্রহণ হবে ১৪৭টি আসনে। |
নিউইয়র্কের গ্র্যান্ড হায়াত হোটেলে অবস্থানরত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরসঙ্গীদের নিয়ে একটি অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া গেছে। প্রতিনিধিদলের সঙ্গে থাকা বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের এক নারী সাংবাদিক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর কথোপকথন গোপনে রেকর্ড করেন বলে অভিযোগ উঠেছে।গত শুক্রবার দুপুরে ওই নারী সাংবাদিক সাক্ষাতের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কক্ষে যান। প্রধানমন্ত্রী তাঁর সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক কথাবার্তা বলেন। কথাবার্তার একপর্যায়ে ওই নারী সাংবাদিক তাঁর সঙ্গে থাকা ভিডিও ক্যামেরাটি চালু করে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য রেকর্ড করেন। কিন্তু অনুমতি না নেওয়ায় এতে বাদ সাধেন প্রটোকল কর্মকর্তারা।প্রধানমন্ত্রীর কক্ষ থেকে বেরিয়ে আসার পর ওই সাংবাদিকের ভিডিও ক্যামেরা পরীক্ষা করা হয়। এতে প্রধানমন্ত্রীর সব অনানুষ্ঠানিক কথাবার্তার রেকর্ড পাওয়া যায়। পরে প্রটোকল কর্মকর্তারা ভিডিও টেপটি জব্দ করেন।দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নভেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহের দিকে এই তফসিল ঘোষণা করা হতে পারে। সে ক্ষেত্রে ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে অথবা জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ভোট গ্রহণ করা হবে।নির্বাচন কমিশন সচিবালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সিইসি সাংবাদিকদের বলেন, আগামীকাল (আজ বুধবার) কমিশনের বৈঠকে নির্বাচনী আচরণবিধির খসড়া চূড়ান্ত করা হবে। এর পরপরই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার তারিখ নির্ধারণ নিয়ে আলোচনা হবে। ৪০ থেকে ৪৫ দিন হাতে রেখে ২৪ জানুয়ারির মধ্যেই নির্বাচন হবে।সূত্র জানায়, খসড়া আচরণবিধি চূড়ান্ত হওয়ার পর তা রাজনৈতিক দল ও সাধারণ মানুষের মতামত নেওয়ার জন্য অনলাইনে প্রকাশ করা হবে। তাদের মতামতের ভিত্তিতে কিছুটা সংযোজন-বিয়োজন করে আইন মন্ত্রণালয়ের ভেটিং (যাচাই-বাছাই) শেষে চূড়ান্ত আচরণবিধি অনুমোদন করা হবে।জানতে চাইলে কমিশন সচিবালয়ের সচিব মোহাম্মদ সাদিক প্রথম আলোকে বলেন, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠানের মতো প্রস্তুতি নির্বাচন কমিশনের আছে। যেটুকু কাজ বাকি আছে, তা সদ্য পাস হওয়া গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন বিলে রাষ্ট্রপতি সই করার পর সম্পন্ন করা সম্ভব হবে।কমিশন সচিবালয় সূত্র জানায়, ইতিমধ্যে আসনভিত্তিক ভোটার তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে। ভোটকেন্দ্রের তালিকা চূড়ান্ত করা এবং ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাদের নিয়োগের কাজও এগিয়ে চলছে। মনোনয়ন ফরমসহ বেশির ভাগ ফরম ছাপার আদেশ কয়েক সপ্তাহ আগেই দেওয়া হয়েছে। নতুন করে ৪০ হাজার স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স আমদানির কাজও শেষ হয়েছে।সিইসি কাজী রকিব উদ্দীন আহমেদ গতকাল আরও বলেন, নির্বাচনের সময় কমিশন সর্বোচ্চ ক্ষমতা প্রয়োগ করবে। ইতিমধ্যে সরকারি কর্মকর্তাদের পর্যবেক্ষণ করা শুরু হয়েছে। কারও বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ এলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, বিগত নয়টি উপনির্বাচনে যেসব সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল, তাঁদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। আগামী নির্বাচনেও কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে প্রশাসনে রদবদল করা হবে। কমিশন তফসিল ঘোষণার পর এই ক্ষমতা প্রয়োগ করবে। এ সময়ে মন্ত্রণালয় থেকে প্রকল্প গ্রহণ এবং অর্থ ছাড়ের ব্যাপারেও সীমাবদ্ধতা থাকবে।আচরণবিধিতে যে পরিবর্তন আসছে: কমিশন সচিবালয়ের কর্মকর্তাদের মতে, রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের জন্য কমিশনের যে আচরণবিধি থাকছে, তাতে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের নির্বাহী ক্ষমতা প্রয়োগের ব্যাপারে কোনো বিধিনিষেধ আরোপের ব্যবস্থা থাকছে না। কারণ, সংবিধান ও সরকারের রুলস অব বিজনেস মন্ত্রীদের নির্বাহী ক্ষমতা প্রয়োগের ক্ষমতা দিয়ে রেখেছে। নির্বাচনের সময়ে তাঁরা এই ক্ষমতার কতটা প্রয়োগ করতে পারবেন, সে সম্পর্কে আরপিওতে কিছু বলা নেই। তাই এ বিষয়ে আচরণবিধিতে কোনো নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা যাচ্ছে না।সূত্র জানায়, কমিশনের প্রস্তাবিত আচরণবিধিতে বলা হয়েছে, সরকারি সুবিধাভোগী ব্যক্তিরা নির্বাচনে প্রার্থী হলে নির্বাচনী কাজে তাঁরা সরকারি গাড়ি, জনবল ও প্রচারযন্ত্র ব্যবহার করতে পারবেন না। ‘সরকারি সুবিধাভোগী ব্যক্তি’-এর সংজ্ঞায় মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী বা তাঁদের সমপদমর্যাদাসম্পন্ন ব্যক্তি, স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তবে এতে প্রধানমন্ত্রীর নাম নেই।কিন্তু নির্বাচনের সময়ে সরকারের পক্ষ থেকে নির্বাচনকে প্রভাবিত করার মতো কোনো প্রকল্প গ্রহণ বা প্রকল্পের জন্য টাকা ছাড় করা যাবে কি না, সে বিষয়ে আচরণ-বিধিতে এখনো কিছু বলা নেই। সরকারি সুবিধাভোগী ব্যক্তিদের প্রটোকল বা নিরাপত্তার সুবিধার বিষয়েও বিধিতে কিছু বলা হয়নি।এ বিষয়ে গতকাল নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ শাহনেওয়াজের কাছে জানতে চাইলে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি।জানতে চাইলে সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ টি এম শামসুল হুদা বলেন, বিষয়টি আচরণবিধিতে উল্লেখ না থাকলে কোনো সমস্যা নেই। সরকার নির্বাচনকে প্রভাবিত করে যাতে কোনো প্রকল্প গ্রহণ না করতে পারে, সে বিষয়ে কমিশন আলাদা নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারবে। সাংবিধানিকভাবে সে ক্ষমতা কমিশনের আছে। তবে বিষয়টি স্পষ্ট করার জন্য আরপিওতে উল্লেখ করা দরকার ছিল, যা কমিশন করেনি।কমিশনের পরামর্শ নেয়নি: সিইসি গতকাল সাংবাদিকদের বলেছেন, প্রার্থী হতে হলে রাজনৈতিক দলে তিন বছরের সদস্যপদ থাকার বাধ্যবাধকতার বিধান আরপিও থেকে বাদ দেওয়ার ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনের মতামত নেয়নি আইন মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি।সিইসি বলেন, সংসদের কাজ সংসদ করেছে। জনগণ সাংসদদের ভোট দিয়ে আইন করার জন্য সংসদে পাঠিয়েছে। তাঁরা যা ভালো মনে করেন, তাই করেছেন। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের কিছু করার নেই। আরপিওর এই ধারা বাতিলের ব্যাপারে সংসদীয় কমিটি থেকে কমিশনের মতামত চাওয়া হয়নি।জানতে চাইলে আইন মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি ফজলে রাব্বি মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, এ বিষয়ে কমিশনের মতামত চাওয়া হয়নি। কারণ, সংসদীয় কমিটি সচরাচর এসব ক্ষেত্রে কারও মতামত চায় না। তবে এ সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় কমিটির বৈঠকে কমিশনের সচিবসহ অন্যান্য কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। বরং কমিশন সচিবালয়ের কর্মকর্তারা সরকারি কর্মকর্তাদের অবসর শেষে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ব্যাপারে যে বাধ্যবাধকতা রয়েছে, তা তুলে দেওয়ার প্রস্তাব করেছিলেন। কমিটি তা নাকচ করেছে।আরপিওর বিধান অনুযায়ী সরকারি কর্মকর্তারা চাকরি থেকে অবসর গ্রহণের পর তিন বছর অতিবাহিত হলে তাঁরা নির্বাচনে অংশ নেওয়ার যোগ্য হবেন।ছবিটা কখনো ভুলতে পারবেন না ওয়ালি ফয়সাল। গত সোমবার ফেডারেশন কাপে মোহামেডানের বিপক্ষে আবাহনীর প্রথম গোলদাতা ব্রাজিলিয়ান কাস্ত্রোর গোল উদ্যাপনের সঙ্গী হয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে। ওই দিনই ভূমিষ্ঠ হওয়া নিজের প্রথম শিশুসন্তানকে স্বাগত জানিয়েছেন বেবোতোর সেই হাত দুলিয়ে নবাগত শিশুর আগমন উদ্যাপনের মতো। নিজের এই আনন্দের খবর আবাহনী ডিফেন্ডার মুঠোফোনে খুদেবার্তা পাঠিয়ে জানিয়েছিলেন ফুটবল অঙ্গনের অনেককেই।সেই ওয়ালিকে কাল কাঁদতে হলো। তাঁকে কাঁদিয়ে চলে গেল পুত্রসন্তানটি। জন্ডিসে আক্রান্ত হয়ে কাল মারা গেছে সে। এই শোক সামলাতে ওয়ালিকে সান্ত্বনা দিয়ে শোকবার্তা দিয়েছে আবাহনী।মোহাম্মদ অহিদুল আলম চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ও মেরিন সায়েন্সেস অ্যান্ড ফিশারিজ ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক। সহকারী প্রক্টর হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব অনিয়ম দূর করার দায়িত্ব পালনকারীদের একজন তিনি। তিনিই এবার অনিয়ম করে বসলেন।সম্প্রতি শেষ হওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক প্রথম বর্ষে ভর্তি পরীক্ষায় অহিদুল আলম মোট পাঁচ বেলা দায়িত্ব পালন করেছেন। কিন্তু তিনি ১২ বেলা দায়িত্ব পালন করেছেন দেখিয়ে সাড়ে ১৭ হাজার টাকা অতিরিক্ত আদায় করেছেন। সহকারী প্রক্টরের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে এ ধরনের অনিয়ম নিয়ে শিক্ষকদের মাঝে সমালোচনা শুরু হয়েছে।সূত্র জানায়, বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৬ নভেম্বর থেকে ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়। এ পরীক্ষা শেষ হয় চলতি মাসের ২৬ তারিখ। এই সময়ে কখনো এক বেলায় আবার কখনো দুই বেলায় মোট ১২টি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টররা এক বেলায় পরীক্ষা চলাকালে দায়িত্ব পালন করলে আড়াই হাজার টাকা করে পান। সেই হিসাবে পাঁচ বেলা দায়িত্ব পালনকারী অহিদুল আলমের পাওয়ার কথা সাড়ে ১২ হাজার টাকা। কিন্তু ১২ বেলায় দায়িত্ব পালন করছেন দেখিয়ে তিনি আদায় করেছেন ৩০ হাজার টাকা। তিনি ছুটিতে থেকেও ১৬ নভেম্বর এক দিন ভর্তি পরীক্ষার দায়িত্ব পালন করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।মেরিন সায়েন্সেস অ্যান্ড ফিশারিজ ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আশরাফুল আজম খান প্রথম আলোকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত একটি প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অংশ নিতে অহিদুল ২৪ অক্টোবর থেকে ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত ছুটিতে ছিলেন। ছুটি শেষে তিনি ২৫ নভেম্বর বিভাগে যোগদান করেন।মোহাম্মদ অহিদুল আলম প্রথম আলোর কাছে দাবি করেন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষই তাঁকে ওই কর্মশালায় প্রতিনিধি হিসেবে পাঠান। সে হিসেবে তিনি ভর্তি পরীক্ষায় পাঁচ বেলায় দায়িত্ব পালন করলেও ১২ বেলার টাকা তুলেছেন।জ্যেষ্ঠ শিক্ষকদের দাবি, ছুটিতে থেকে কেউ দায়িত্ব পালন করতে পারেন না। তিনি মিথ্যাচারের আশ্রয় নিয়েছেন। এটি একটি ন্যক্কারজনক ঘটনা। সামান্য কিছু টাকার জন্য যখন একজন শিক্ষক নিজেকে নৈতিকতাকে বিকিয়ে দেন, তাঁর কাছ থেকে শিক্ষার্থীরা কী শিখবে?বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক মোহাম্মদ সফিউল আলম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির বিষয়গুলো প্রক্টরই দেখেন। তিনি যে রকম হিসাব পাঠান, সে অনুসারেই টাকাটা দেওয়া হয়।অহিদুল অতিরিক্ত টাকা নিয়েছেন বলে স্বীকার করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক খান তৌহিদ ওসমান। তিনি বলেন, ‘আমি তো ভেবেছিলেম সব সহকারী প্রক্টরই ১২ বেলায় দায়িত্ব পালন করেছেন। তাই সব সহকারী প্রক্টরের জন্যই আমি ১২ বেলা হিসাব করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে পাঠিয়েছিলাম।’ |
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে জুয়েল নামের কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের তৃতীয় বর্ষের এক শিক্ষার্থীকে পিটিয়েছে ছাত্রলীগের একাংশ। গতকাল শনিবার বেলা দুইটায় বিশ্ববিদ্যালয় রেলস্টেশন চত্বরে ছাত্রলীগের ১০-১৫ জন কর্মী তাঁকে পিটিয়ে আহত করেন।বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর লিটন মিত্র জানান, আহত শিক্ষার্থীকে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তিনি সুস্থ হলে কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছেন, তাঁদের শনাক্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।তবে এ বিষয়ে ছাত্রলীগের কেউ বক্তব্য দিতে রাজি হননি।জন্মদিন পালন করেনি ছাত্রলীগ: দেশব্যাপী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৬৭তম জন্মদিন পালন করা হলেও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কোনো কর্মসূচি ছিল না। মহাজোট সরকারের অন্যান্য বছর বিশ্ববিদ্যালয়ে বেশ ঘটা করে প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন পালন করা হলেও এবার ছাত্রলীগ কোনো কর্মসূচিই দেয়নি।নেতা-কর্মীরা তাঁরা অভিযোগ করেন, বর্তমান সভাপতি ক্যাম্পাসে ‘অবাঞ্ছিত’ ও সাধারণ সম্পাদক ক্যাম্পাসে না আসায় কোনো কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে না।বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আলমগীর টিপু বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের কার্যক্রম চালিয়ে যেতে নতুন নেতৃত্বের প্রয়োজন।প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধীদলীয় নেতার টেলিফোন সংলাপ প্রকাশিত হওয়ার মাধ্যমে কেউ বিব্রত হতে পারেন। আবার কেউ খুশিও হতে পারেন। তবে দেশবাসী এখন মূল্যায়ন করতে পারবে, আমাদের প্রধান দুই শীর্ষ নেতা নিজেদের মধ্যে কী ধরনের আলোচনা করতে পারেন। তাঁরা পরস্পরের প্রতি কী ধরনের বিদ্বেষপূর্ণ ধারণা পোষণ করেন।যদি দুজনের বক্তব্যের সারবস্তুর দিকে তাকাই, তবে দেখা যাবে দুই পক্ষই নিজ নিজ অবস্থানে অনড় থেকেছেন। আপাতদৃষ্টিতে এর বাইরে যাওয়ার কোনো অবকাশ দেখছি না।এত কিছুর পরও আশাবাদী মানুষ হিসেবে আমি কিছুটা হলেও আলো দেখতে পাই। কারণ প্রধানমন্ত্রী এর আগে সর্বদলীয় সরকার নিয়ে কিছু বলেননি। নিজেদের অধীনেই একটি সংকুচিত সরকার নিয়ে নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা বলেছেন। বিরোধীদলীয় নেতাও নির্বাচনকালীন সরকারের একটি প্রস্তাব দিয়েছেন। অন্তত তাঁরা যে নিজেদের আগের অবস্থান থেকে সরে এসে নতুন করে প্রস্তাব দিয়েছেন, তাতে আমি ছাড় দেওয়ার মানসিকতা দেখতে পাচ্ছি।তবে নির্বাচনকালীন সরকার প্রধানের বিষয়ে ঐকমত্যের লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। যদি দেশের মানুষের উৎকণ্ঠা ও অনিশ্চয়তা মেটানোর সদিচ্ছা দুই দলের থাকে, তাহলে অগ্রসর হওয়া সম্ভব। কিন্তু এর পূর্বশর্ত একটাই, দুজনকেই চাইতে হবে যে তাঁরা ঐকমত্যে পৌঁছাতে চান। টেলিফোন সংলাপ কে ও কীভাবে প্রকাশ করলেন সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। কোনো না কোনোভাবে এটা প্রকাশিত হতোই। যদি আগে থেকে এমন চিন্তা থাকত যে এই কথোপকথন বের হবে না, তাহলে অবশ্যই তেমন পূর্বপ্রস্তুতি থাকত।ইফতেখারুজ্জামাননির্বাহী পরিচালক, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশনতুন ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হকের সঙ্গে পরশু দেখা করে হকির বর্তমান কমিটি ভেঙে দেওয়ার দাবি তুলেছে মোহামেডান জোট। কাল হকি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক খাজা রহমতউল্লাহর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল মন্ত্রীর সঙ্গে এ নিয়ে কথা বলেছেন। সংকট কাটাতে রহমতউল্লাহ মন্ত্রীকে একটা প্রস্তাব দিয়েছেন। সেটি হলো, ফেডারেশনের বর্তমান কমিটিতে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কোটায় এখনো খালি থাকা দুটি পদ বিদ্রোহী ক্লাবগুলোকে দেওয়া যেতে পারে। মন্ত্রী বিষয়টা ভেবে দেখবেন বলে জানিয়েছেন প্রতিনিধিদলকে। যদিও মোহামেডান জোট এই প্রস্তাবকে হাস্যকর বলে উড়িয়ে দিয়েছে।চট্টগ্রাম বোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষায় (জেএসসি) গত বছরের তুলনায় এবার জিপিএ-পাঁচ বেড়েছে প্রায় চার গুণ। বেড়েছে পাসের হারও। আর বোর্ডের সেরা ২০ বিদ্যালয়ের মধ্যে তৃতীয়বারের মতো প্রথম হয়েছে চট্টগ্রাম নগরের ডা. খাস্তগীর সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়।গতকাল রোববার প্রকাশিত ফলাফল বিশ্লেষণে এসব তথ্য জানা যায়।চট্টগ্রাম বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক পীযূষ দত্ত প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিগত বছরের ধারাবাহিকতায় চট্টগ্রাম বোর্ডের এ বছরের জেএসসির ফলাফল সার্বিকভাবে বেশ ভালো হয়েছে। পাসের হার, জিপিএ-৫, শতভাগ পাস করা বিদ্যালয় ইত্যাদি সব ক্ষেত্রেই অগ্রগতি হয়েছে।’ জিপিএ-৫-এর সংখ্যা বাড়ার কারণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘চলতি বছর থেকে জেএসসিতে অপশনাল বিষয় সংযোজন হওয়ায় শিক্ষার্থীরা ভালো ফলাফলের সুযোগ পেয়েছে।’সূত্র জানায়, জেএসসিতে চট্টগ্রাম বোর্ডে এবার পাসের হার ৮৬ দশমিক ১৩। গতবার যা ছিল ৭৮ দশমিক ৩৬। এ বছরে মহানগরে পাসের হার ৯১ দশমিক ৩৫। মহানগর বাদে চট্টগ্রাম জেলার পাসের হার ৮৩ দশমিক ৯৯ এবং মহানগরসহ চট্টগ্রাম জেলার পাসের হার ৮৬ দশমিক ২৬ শতাংশ।বোর্ডে এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৪ হাজার ১০৫ জন। গত বছর পেয়েছিল তিন হাজার ৫৩১ জন। বোর্ডের অধীনে এ বছর ১৯৪টি কেন্দ্রে এক লাখ ৪০ হাজার ৫৭৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে অংশগ্রহণ করে এক লাখ ৩৮ হাজার ২৫ জন। এর মধ্যে পাস করেছে এক লাখ ১৮ হাজার ৮৮৭ জন। ফেল করেছে ১৯ হাজার ১৩৮ জন।এবারও জিপিএ-৫-এ এগিয়ে মেয়েরা: এবারও জিপিএ-৫-এর হিসাবে মেয়েরা এগিয়ে রয়েছে। মেয়েদের মধ্যে সাত হাজার ৬৫৬ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। ছেলেরা পেয়েছে ছয় হাজার ৪৪৯ জন। পাসের হারের দিক দিয়ে গতবারের মতো ছেলেরা এগিয়ে রয়েছে। ছেলেদের পাসের হার ৮৭ দশমিক ৩৪ এবং মেয়েদের ৮৫ দশমিক ১৬ শতাংশ।কক্সবাজারসহ তিন পার্বত্য জেলার পাসের হার বেড়েছে: ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, চট্টগ্রামের বাইরে চার জেলায় গতবারের তুলনায় পাসের হার বেড়েছে এবারও। এর মধ্যে কক্সবাজার জেলায় পাসের হার এ বছর ৮৮ দশমিক ১৮। গত বছর ছিল ৮০ দশমিক ৮০। তিন পার্বত্য জেলার মধ্যে রাঙামাটিতে পাসের হার ৭৮ দশমিক ৪৯ থেকে বেড়ে ৮৪ দশমিক ০১ শতাংশ হয়েছে। খাগড়াছড়ি জেলায় ৭০ দশমিক ৩৫ থেকে বেড়ে ৮৪ দশমিক ৮৫ এবং বান্দরবান জেলায় ৭১ দশমিক ৭৭ থেকে বেড়ে ৮১ দশমিক ৫ হয়েছে।কমেছে বহিষ্কৃতের সংখ্যা: চট্টগ্রাম বোর্ডে এ বছর বহিষ্কার হয়েছে মাত্র সাতজন। গত বছর এ সংখ্যা ছিল ২৫ জন।বেড়েছে শতভাগ পাস: এবার শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করেছে এমন বিদ্যালয়ের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০৫টি। গতবার শতভাগ পাস করেছিল ৫৮টি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।সেরা বিশে টানা তিনবার প্রথম খাস্তগীর: চট্টগ্রাম বোর্ডে সেরা ২০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তালিকায় এবারও প্রথম হয়েছে ডা. খাস্তগীর সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। ২০১১ সাল থেকে টানা তিন বছর তারা একই অবস্থানে রয়েছে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাসমত জাহান বলেন, ‘আমরা পর পর তিনবার বোর্ডের সেরা ২০ স্কুলের মধ্যে প্রথম হয়েছি। এ ফলাফলে আমাদের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা সবাই আনন্দিত। সারা বছরই শিক্ষার্থীদের মানোন্নয়নের প্রচেষ্টায় নিয়োজিত থাকেন আমাদের শিক্ষকেরা। যা ফলাফল ভালো করার জন্য সহায়ক ভূমিকা রেখেছে।’ খাস্তগীর সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের ৩২২ জন পরীক্ষার্থীর সবাই পাস করেছে। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩২০ জন।সেরা ২০ বিদ্যালয়ের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে চট্টগ্রাম সরকারি কলেজিয়েট স্কুল, তৃতীয় বাংলাদেশ মহিলা সমিতি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজ, চতুর্থ সরকারি মুসলিম উচ্চবিদ্যালয়, পঞ্চম সিলভার বেলস বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, ষষ্ঠ নাসিরাবাদ সরকারি উচ্চবিদ্যালয়, সপ্তম চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ, অষ্টম ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজ, নবম ইস্পাহানি পাবলিক স্কুল ও কলেজ এবং দশম নৌবাহিনী উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজ। বাকি বিদ্যালয়গুলোর মধ্যে রয়েছে যথাক্রমে চট্টগ্রাম সরকারি উচ্চবিদ্যালয়, চট্টগ্রাম সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, ক্যান্টনমেন্ট ইংলিশ স্কুল, কক্সবাজার সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, অংকুর সোসাইটি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, চকরিয়া করোক বিদ্যাপীঠ, বান্দরবান ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ, বাকলিয়া সরকারি উচ্চবিদ্যালয়, সেন্ট প্লাসিডস উচ্চবিদ্যালয় এবং র্যাডিয়ান্ট স্কুল ও কলেজ। |
সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক): তথ্য অধিকার আইন ২০০৯-এর কার্যকর বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন ও র্যালি, বিকেল চারটা থেকে, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে।চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় নাট্যকলা বিভাগ: নাট্য উৎসবের দ্বিতীয় দিনে সংগীতানুষ্ঠান ও নাটক ‘রুপার কৌটা’, সন্ধ্যা ছয়টা থেকে, শিল্পকলা একাডেমিতে।একমুঠো বৌদ্ধ তরুণ: রামু, উখিয়া ও পটিয়ায় বৌদ্ধবিহারে হামলার এক বছর স্মরণে মানববন্ধন কর্মসূচি, বেলা তিনটায়, চট্টগ্রাম বৌদ্ধবিহারের সামনে।পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) নিয়োগ ও নিয়োগ স্থায়ীকরণের ক্ষমতার পাশাপাশি প্রথম শ্রেণীর পদ পরিদর্শক নিয়োগের ক্ষমতাও নিজেদের হাতে নিয়েছে পুলিশ। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।বর্তমান সরকার পরিদর্শকের পদটি প্রথম শ্রেণীতে উন্নীত করেছে। নিয়ম অনুযায়ী, প্রথম শ্রেণীর পদে নিয়োগের ক্ষমতা সরকারি কর্মকমিশনের (পিএসসি)। একইভাবে পদোন্নতির ক্ষেত্রেও অবশ্যই পিএসসির পরামর্শ নিতে হবে। এ বিষয়ে আদালতেরও একটি রায় আছে। কিন্তু জারি হওয়া প্রজ্ঞাপনটিতে এ সবই উপেক্ষা করা হয়েছে।২৭ অক্টোবর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, পরিদর্শক, উপপরিদর্শক, সার্জেন্ট এবং টাউন উপপরিদর্শক (টিএসআই) পদগুলোর নিয়োগ ও স্থায়ীকরণের বিষয়ে পিএসসির পরামর্শের প্রয়োজন হবে না।পুলিশের এসআই পদটি আগে তৃতীয় শ্রেণীর এবং পরিদর্শক পদটি দ্বিতীয় শ্রেণীর ছিল। বর্তমান সরকার এসআইকে দ্বিতীয় ও পরিদর্শক পদকে প্রথম শ্রেণীতে উন্নীত করে। এর পরই এ পদের নিয়োগ ও পদোন্নতি নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়। এই অবস্থায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় পিএসসির পরামর্শ চাইলে পিএসসি নিয়োগের ক্ষেত্রে ১৯৭৯ সালের প্রবিধিমালা সংশোধন করার পরামর্শ দেয়। তবে পদোন্নতি ও শৃঙ্খলার বিষয়ে পিএসসির পরামর্শ নিতে হবে বলে সিদ্ধান্ত দেয়। চলমান এসআই নিয়োগের বিষয়ে দুই পরিদর্শকের দায়ের করা একটি রিটে হাইকোর্টও পিএসসির পরামর্শ নেওয়ার পক্ষে রায় দেন। কিন্তু জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে পরিদর্শক নিয়োগ ও স্থায়ীকরণের বিষয়ে পিএসসির পরামর্শ নেওয়ার দরকার নেই বলে উল্লেখ করা হয়েছে।জানতে চাইলে পিএসসির দায়িত্বপ্রাপ্ত সদস্য লিয়াকত আলী খান কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে পিএসসির কর্মকর্তারা বলছেন, এই প্রজ্ঞাপন আদালতের আদেশ ও পিএসসির সিদ্ধান্তের পরিপন্থী।তবে জনপ্রশাসনসচিব আবদুস সোবহান সিকদার বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাব, পিএসসির মতামত ও আইন মন্ত্রণালয়ের ভেটিং নিয়েই এ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।এ বিষয়ে সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, এটি একটি ভুল সিদ্ধান্ত। উঁচু পদ নেবেন আর নিয়ম মানবেন না, তা কোনোভাবেই উচিত নয়। তিনি বলেন, ইন্সপেক্টর প্রথম শ্রেণীর পদ আর প্রথম শ্রেণীর পদে নিয়োগ দেবে পিএসসি। তিনি বলেন, এই অসামঞ্জস্য দূর করতে হবে, না হলে সব প্রতিষ্ঠানেই এ ধরনের চর্চা শুরু হবে।হাইকোর্টে রিটকারীদের আইনজীবী সালাহউদ্দিন গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘হাইকোর্ট পরিষ্কার বলে দিয়েছেন, পরিদর্শক পদের পদোন্নতি পিএসসির মাধ্যমেই হতে হবে। সরকার এই রায়ের বিরুদ্ধে চেম্বার জজের কাছে গেলেও আদালত রায় স্থগিত করেননি। কাজেই এই আদেশের বিরুদ্ধে যাওয়ার সুযোগ কারও নেই। তার পরও যদি পরিদর্শক পদের পদোন্নতি পিএসসির পরামর্শ ছাড়া করা হয়, তাহলে আমরা সেটিকে চ্যালেঞ্জ করব।’আইনি প্রক্রিয়া: রাষ্ট্রের প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর কর্মকর্তা নিয়োগের সাংবিধানিক দায়িত্ব পিএসসির। ২০১২ সালের ১৯ জুলাই পরিদর্শক পদটিকে প্রথম শ্রেণী এবং ২০১২ সালের ৩০ জুলাই এসআই পদকে দ্বিতীয় শ্রেণীর করা হয়। কিন্তু প্রজ্ঞাপন জারির আগেই ২০১২ সালের ৪ জুন এসআই নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পুলিশ। এ নিয়ে শুরু হয় জটিলতা। এর মধ্যেই হাইকোর্টে রিট করেন দুই উপপরিদর্শক।এই অবস্থায় এসআই পদে নিয়োগ, পদোন্নতি, স্থায়ীকরণ ও শৃঙ্খলাসংক্রান্ত বিষয়ে পিএসসির সঙ্গে পরামর্শ করার বিধান রহিত করার জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও পিএসসিকে ১৫ এপ্রিল ও ২৬ মে দুটি চিঠি দেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এর আগে ৩ এপ্রিল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে দেওয়া আরেক চিঠিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, এসব ক্ষেত্রে পিএসসির সঙ্গে পরামর্শ করার বিধান রদ করা যেতে পারে। পরে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য পিএসসি বৈঠক করে। ৭ জুলাই জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে দেওয়া এক চিঠিতে বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশন (পরামর্শকরণ) প্রবিধিমালা, ১৯৭৯ সংশোধনের পরামর্শ দেয় পিএসসি। আরও জানানো হয়, পরিদর্শক পদে পদোন্নতির ক্ষেত্রে পিএসসির পরামর্শ নিতে হবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, জনপ্রশাসন, পুলিশ বিভাগ বিভিন্ন সময় নিজেদের মধ্যে চালাচালি করা চিঠিতে এই পরামর্শ মেনে নিতে একমত হয়। সিদ্ধান্ত হয়, এসআই নিয়োগের ক্ষমতা পুলিশকে দেওয়া হবে। তবে পদোন্নতির ক্ষমতা পিএসসির হাতেই থাকবে। এই অনুযায়ী প্রজ্ঞাপন জারি করার কথা। কিন্তু জারি করা প্রজ্ঞাপনে এসআই পদে নিয়োগসহ সব ক্ষমতা পুলিশ বিভাগকে দেওয়া হয়। সঙ্গে পরিদর্শক পদটিও জুড়ে দেওয়া হয়।ক্রিকেটারদের সংগঠন কোয়াবের বার্ষিক সাধারণ সভা ও নির্বাচন আগামী ১৩ ডিসেম্বর। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের প্লাজা গেটের র্যাম্প সেন্টারে বার্ষিক সভা শুরু হবে বেলা ১১টায়। বিজ্ঞপ্তি।ফেনীতে ছিনতাইকারীদের হাতে আবুল খায়ের (৪০) নামের এক ব্যক্তি নিহত হওয়ার ঘটনায় গত শনিবার রাতে পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। তাঁরা হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।গ্রেপ্তার তিন ব্যক্তি হচ্ছেন সোনাগাজীর সমপুর গ্রামের মো. শাহজাহান, চর সাহাভিখারী গ্রামের বেলাল হোসেন ও গুনক ঈদগা গ্রামের মো. তারেক।২০ ডিসেম্বর রাতে ফেনী-সোনাগাজী সড়কের বালুয়া চৌমুহনী বাজারের দক্ষিণ পাশে পালবাড়ীর রাস্তার মাথা নামক স্থানে সিএনজিচালিত অটোরিকশার যাত্রী আবুল খায়ের ছিনতাইকারীদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মারা যান। তিনি সোনাগাজী উপজেলার চর দরবেশ ইউনিয়নের বাগিশপুর গ্রামের আবদুল কাদেরের ছেলে।পুলিশ ও পারিবারিক সূত্র জানায়, ২০ ডিসেম্বর রাত ১২টার দিকে আবুল খায়ের বিদেশ থেকে আসা তাঁর ছোট ভাই আবু ইউছুফকে ফেনী থেকে বাড়ি নিয়ে যাওয়ার জন্য এলাকার একটি অটোরিকশা নিয়ে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে পালবাড়ীর রাস্তার মাথায় পৌঁছানোর পর রাত দেড়টার দিকে ছিনতাইকারীর কবলে পড়েন। ছিনতাইকারীরা তাঁকে টেনেহেঁচড়ে অটোরিকশা থেকে নামানোর চেষ্টা করে। ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে ছিনতাইকারীরা তাঁর মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করে সঙ্গে থাকা টাকাপয়সা নিয়ে যায়। মুমূর্ষু অবস্থায় তাঁকে ফেনী সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলে রাতেই মারা যান। এ ঘটনায় ফেনী মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা করা হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফেনী সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মাহবুবর রহমান জানান, তিন ছিনতাইকারী গতকাল বিকেলে ফেনীর জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম খায়রুল আমিনের আদালতে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। |
চট্টগ্রামের শীর্ষস্থানীয় তিন সন্ত্রাসীর কাছ থেকে একে ৪৭ রাইফেলসহ অস্ত্র উদ্ধারের মামলার বাদী ও সাক্ষী কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম মহিউদ্দিন সেলিমকে আগামী ধার্য দিনে সাক্ষ্য দিতে বলেছেন পুলিশ কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম।গতকাল প্রথম আলোতে ‘চট্টগ্রামে তিন সন্ত্রাসীর মামলা থেমে আছে’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। পুলিশ কমিশনার প্রথম আলোকে বলেন, ‘আগামী ধার্য দিনে মামলাটিতে সাক্ষ্য দিতে তাঁকে (ওসি) বলেছি।’রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর কামাল উদ্দিন আহামঞ্চদ জানান, মামলাটিতে আগামী ধার্য দিনে সাক্ষ্য দিতে ওসিকে মৌখিকভাবে জানানো হবে। যাতে মামলাটির দ্রুত নিষ্পত্তি হয়। আগামী ১৪ অক্টোবর পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য রয়েছে। ২০১১ সালের ৬ জুলাই নগরের পাঁচলাইশ চালিতাতলী এলাকায় শিবিরের ক্যাডার সাজ্জাদ আলীর সহযোগী গিট্টু মানিকের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে একটি একে ৪৭ রাইফেলসহ বিপুল অস্ত্র উদ্ধার করে তৎকালীন বায়েজিদ বোস্তামী থানার ওসি এ কে এম মহিউদ্দিন সেলিম বাদী হয়ে মামলা করেন। কিন্তু ২১ মাস ধরে ওই মামলায় সাক্ষ্য দিতে হাজির হচ্ছেন না তিনি। বাদী সাক্ষ্য না দেওয়ায় মামলাটি নিষ্পত্তি হচ্ছে না বলে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলির দাবি।প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধীদলীয় নেতার মুখোমুখি বসার কোনো লক্ষণ আপাতত দেখা যাচ্ছে না। গত শনিবার সন্ধ্যায় দুই নেত্রীর ৩৭ মিনিটের ফোনালাপে এ ব্যাপারে দুই পক্ষে যে আশা তৈরি হয়েছিল, গতকাল কথোপকথন প্রকাশের পর তা মিলিয়ে যায়।বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কথোপকথনের রেকর্ড প্রচার হওয়ার সমালোচনা করে গতকাল বলেছেন, যাতে সংলাপ না হয়, এ জন্য সরকার নাটক তৈরি করেছে।একই দিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে ও তাঁর তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় ঢাকায় এসে বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের আশা আছে, বিরোধী দল সংলাপে আসবে। কিন্তু এর কোনো লক্ষণ দেখছি না।’প্রধানমন্ত্রী হরতাল প্রত্যাহার করে ২৮ অক্টোবর গণভবনে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়াকে। বিরোধীদলীয় নেতা এ অনুরোধ নাকচ করে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত হরতাল চলবে, তারপর তিনি গণভবনে যেতে পারেন।দুই নেত্রীর এই ফোনালাপ তেমন সৌহার্দ্যপূর্ণ ছিল না। আধা ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে তাঁদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি বক্তব্য চলে। এই টেলিসংলাপ দেশের রাজনৈতিক সংকট নিরসনে কোনো সুফল বয়ে আনেনি। কারণ, দুই নেত্রীই পরস্পরের বিরুদ্ধে মানুষ হত্যা, সমাবেশে বাধা দেওয়ার অভিযোগ করেন এবং শুরুতেই ফোন ধরা না-ধরা, ফোন অচল ছিল কি না, তা নিয়ে তর্কে জড়িয়ে যান। অতীতে কে কার প্রতি অন্যায় আচরণ করেছেন, সেটাও আলোচনায় উঠে এসে তিক্ততার সৃষ্টি করে।এখন ৬০ ঘণ্টার হরতাল শেষে বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তাঁরা সংলাপের বিষয়ে কথা বলার জন্য ফোনে সরকারি দলের নেতাদের পাচ্ছেন না। আবার সরকারি দলের কয়েকজন নেতা প্রথম আলোকে বলেন, তাঁদের না পাওয়ার কোনো কারণ নেই। তবে তাঁরা অন্যান্য দলের সঙ্গে আলোচনায় ব্যস্ত আছেন।বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বলেছেন, এভাবে কথোপকথনের রেকর্ড প্রকাশ করাটা রাজনৈতিক শিষ্টাচারবহির্ভূত ও উদ্দেশ্য-প্রণোদিত। এটা করা হয়েছে যাতে সংলাপের পরিবেশ সৃষ্টি না হয়। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ যে সর্বদলীয় সরকারের কথা বলছে, তা সর্বদলীয় সরকার নয়, ১৪-দলীয় সরকার। তিনি নির্দলীয় সরকারের ব্যাপারে আলোচনার জন্য একটি সময় নির্ধারণ করে দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।অপরদিকে সরকারি দলের অবস্থান হচ্ছে সংবিধানের বাইরে না যাওয়া। তবে তারা বিএনপির দাবি ও তাদের অবস্থান নিয়ে সংলাপে রাজি আছে এবং তা হতে পারে বলে জানায়।তবে দুই দল ও জোটের কয়েকজন দায়িত্বশীল নেতা প্রথম আলোকে বলেন, সংলাপের বিষয়টি বর্তমান পরিস্থিতিতে দুই নেত্রীর গত শনিবারের টেলিফোন আলাপের আগের পর্যায়ে চলে গেছে। এখন আবার নতুন করে শুরু করতে হবে। সেটি কে, কবে, কীভাবে করবেন, তা দেখার জন্য আরও কিছু সময় অপেক্ষা করতে হবে।চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ছলিমপুর ইউনিয়নের কাজীপাড়া এলাকায় ওই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী গোলাম মহিউদ্দীনের বাড়িসহ তিনটি বাড়িতে সশস্ত্র হামলা হয়েছে। এ সময় নারীসহ ১১ জন গুলিবিদ্ধ হন। গত বুধবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।বিএনপি-জামায়াত-শিবিরের সশস্ত্র নেতা-কর্মীরা এ হামলা চালান বলে অভিযোগ উঠেছে। গুলিবিদ্ধরা হলেন: মো. ইছহাক, মোক্তার হোসেন, ফরিদা বেগম, ইকবাল হোসেন, মিনহাজ উদ্দীন, মো. আরমান, মো. তুষাত, মো. শওকত, রোজি আক্তার, মো. তামিম ও শামছুন নাহার। এর মধ্যে চারজন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অন্যরা চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঘটনার শিকার কয়েকজন অভিযোগ করেন, রাত তিনটার দিকে গোলাম মহিউদ্দীনের বাড়িতে হামলা চালান বিএনপি-জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা। তাঁরা মহিউদ্দীনের ঘরসহ তিনটি ঘর ভাঙচুর করেন এবং একটি দোকানে লুটপাট চালান। তাঁদের ছোড়া ছররা গুলিতে ১১ জন গুলিবিদ্ধ হন। এ সময় গোলাম মহিউদ্দীন নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে সক্ষম হন। স্থানীয় লোকজন গুলিবিদ্ধ ব্যক্তিদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ নগরের বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে যান।সীতাকুণ্ড থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘যতটুকু জেনেছি, জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা আওয়ামী লীগ নেতার বাড়িতে হামলা চালিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে।’চট্টগ্রাম মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) জহিরুল ইসলাম নয়জন গুলিবিদ্ধ হওয়ার তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেন।বিষয়টি জানতে বেশ কয়েকবার ছলিমপুর ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক রোকন উদ্দীন এবং ওই ইউনিয়নের জামায়াতের আমির আনোয়ার সিদ্দিকের মুঠোফোনে যোগাযোগ চেষ্টা করা হলে তাঁদের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।ছলিমপুর ইউনিয়ন শিবিরের সভাপতি মো. শওকত হামলার বিষয়টি স্বীকার করে মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘বেশ কয়েক দিন ধরে আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগের কর্মীরা আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছেন। গত রাতে দুই পক্ষের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার একপর্যায়ে বিএনপির কর্মীরা আমাদের কর্মীদের সঙ্গে একত্র হয়ে হামলা করতে পারে।’২১ নভেম্বর সীতাকুণ্ডের বাড়বকুণ্ড ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং ওই ইউপির চেয়ারম্যান ছাদাকাত উল্লাহ মিয়াজির বাড়িতে আগুন দেন জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা।অ্যালার্জি, র্যাশ, হাঁপানি থেকে শুরু করে বিভিন্ন রকম আর্থ্রাইটিস রোগে প্রায়ই ব্যবহূত হয় স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ। এ ছাড়া হঠাৎ অজ্ঞান হলে কিংবা রক্তচাপ কমে গেলেও জীবন রক্ষাকারী ওষুধ হিসেবে ব্যবহূত হয় এই স্টেরয়েড। বাজারে প্রচলিত মোটা হওয়ার ওষুধ, ব্যথা-বেদনা কমানোর টোটকা ইত্যাদিতেও রয়েছে এই স্টেরয়েড।করটিসন, হাইড্রোকরটিসন, প্রেডনিসলন, ডেক্সামিথাসন ইত্যাদি বিভিন্ন নামে স্টেরয়েড ট্যাবলেট, ক্রিম-অয়েন্টমেন্ট, ইনজেকশন, সেপ্র, ইনহেলার রয়েছে। বিভিন্ন সমস্যায় চিকিৎসকেরা এসব ওষুধ ব্যবস্থাপত্রে দিয়ে থাকেন। কিন্তু বহুরোগ উপশমকারী এবং জীবন রক্ষাকারী এই ওষুধ একেবারে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ামুক্ত নয়। প্রায়ই দেখা যায় যে সঠিক ও নিয়মিত পরামর্শের অভাবে স্টেরয়েড ব্যবহারকারী রোগীরা বিভিন্ন জটিলতায় আক্রান্ত হন।তাই জেনে নেওয়া উচিত যে এই ওষুধের অতি ব্যবহার, অপব্যবহার বা দীর্ঘমেয়াদি ব্যবহারের কারণে কী কী সমস্যা হতে পারে ও তার প্রতিকার কী? দীর্ঘদিন স্টেরয়েড ব্যবহারের কারণে ওজন বৃদ্ধি পায়, উচ্চ রক্তচাপ দেখা দেয় বা অনিয়ন্ত্রিত হয়ে পড়ে, রক্তে শর্করা বাড়ে। মুখ, গলা, ঘাড়, বুকে-পেটে চর্বি জমে। হাত-পায়ের মাংসপেশি শুকিয়ে আসে এবং পেশির দুর্বলতা দেখা দেয়। গ্লুকোমার অবনতি বা চোখের ছানিজনিত দৃষ্টিশক্তির অবনতি ঘটে। বিষণ্নতা, কখনো বা অস্থিরতা এবং ঘন ঘন মেজাজের তারতম্য ঘটে।রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পায়। ফলে বারবার সংক্রমণ হয়। কাটা-ছেঁড়া বা ক্ষত সারতে দেরি হয়। হাড়ের ঘনত্ব কমে ও অস্টিওপেরোসিস হয়ে সহজে হাড় ভঙ্গুর হয়ে যায়।মেয়েদের মাসিকের জটিলতা, মুখে বা শরীরে অবাঞ্ছিত লোম বৃদ্ধি। চুল পড়া বাড়ে, ত্বক পাতলা হয়ে যায়, তলপেটে ফাটা দাগ হয়, ব্রণও বেশি হয়।সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, স্টেরয়েড ওষুধ সেবন করার কারণে দেহের স্বাভাবিক স্টেরয়েড হরমোন নিঃসরণের ছন্দপতন ঘটে। মস্তিষ্কের পিটুইটারি গ্রন্থির মাধ্যমে অ্যাড্রিনাল গ্রন্থিও আর প্রয়োজনমাফিক হরমোন তৈরি করতে পারে না। অর্থাৎ রোগী স্টেরয়েড নির্ভর হয়ে পড়ে। হঠাৎ ওষুধ ছেড়ে দিলে বা ভুলে গেলে বমি, দুর্বলতা, পেট ব্যথা, রক্তে লবণের তারতম্য, রক্তচাপ কমে গিয়ে হঠাৎ অজ্ঞান হওয়ার মতো পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।তাই স্টেরয়েড সেবনের আগে ভালোভাবে জেনে রাখুন:-হঠাৎ বেড়ে যাওয়া শ্বাসকষ্ট বা ব্যথা, অ্যালার্জি কমাতে যে স্টেরয়েড দেওয়া হয় তা সাময়িক ও দীর্ঘদিন ব্যবহারের জন্য নয়। চিকিৎসকের কাছ থেকে এর মাত্রা ও মেয়াদ ঠিকভাবে জেনে নিন-আর্থ্রাইটিস বা ইমিউন সিস্টেমের জটিলতায় দীর্ঘ মেয়াদে ব্যবহার করা হলে এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া যথাসম্ভব কমানোর বিষয়ে পরমর্শ নিন। যেমন তিন মাসের বেশি ব্যবহারে হাড় ক্ষয় কমানোর ওষুধ ব্যবহার, রক্তচাপ ও রক্তে শর্করা মেপে বারবার এসবের ওষুধ ঠিক করে নেওয়া ইত্যাদি।-যাঁরা দীর্ঘদিন এ ধরনের ওষুধ সেবন করছেন, তাঁদের ধাপে ধাপে চিকিৎসকের পরামর্শমতো ওষুধ কমিয়ে আনতে হবে, কোনোভাবেই একবারে ওষুধ বন্ধ করা যাবে না। মেডিসিন বিভাগ, ইউনাইটেড হাসপাতাল। |
উত্তর মিঠাছড়ির পাহাড়ের দিকে তাকালেই চোখ জুড়িয়ে যায়। পাহাড়চূড়ায় সিংহশয্যায় আধশোয়া হয়ে আছেন গৌতম বুদ্ধ। সোনালি রঙের এ মূর্তি চোখে পড়ে অনেক দূর থেকে। শুধু বুদ্ধের সিংহশয্যাই নয়, সীমাবিহার, লালচিং, সাদাচিং—সবই এখন দৃষ্টিনন্দন। দূর-দূরান্তের মানুষ আসছে এসব দেখতে। পর্যটকদের নতুন আকর্ষণ হয়ে উঠেছে রামুর ধ্বংসস্তূপে তৈরি করা নতুন বৌদ্ধবিহারগুলো। ৩ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধনের পর নতুন বিহারে দেশি-বিদেশি পর্যটকের আগমন উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ছে। গতকাল শনিবার সকালে রামু উত্তর মিঠাছড়ির পাহাড়চূড়ায় স্থাপিত ১০০ ফুট লম্বা সিংহশয্যা বুদ্ধমূর্তি পরিদর্শন করে বিপুলসংখ্যক পর্যটকের সমাগম দেখা গেছে। রামু কেন্দ্রীয় সীমাবিহার, শ্রীকুলের লালচিং, সাদাচিং ও রাখাইন বৌদ্ধবিহারেরও একই অবস্থা।গতকাল রাখাইনবিহারে দেখা হয় জাতিসংঘ উদ্বাস্তুবিষয়ক হাইকমিশনের কক্সবাজার-প্রধান মেলেসিউ মামু ও কর্মকর্তা মো. বায়েজিতের সঙ্গে। এর আগে তাঁরা পাহাড়চূড়ার বুদ্ধমূর্তি ঘুরে এসেছেন। মেলেসিউ মামু বলেন, সরকার দ্রুত সময়ে পুড়ে যাওয়া বিহারগুলো আকর্ষণীয়ভাবে নির্মাণ করে দেওয়ায় বৌদ্ধসম্প্রদায়ের মানুষ খুশি। নতুন বিহারগুলো রামুর চেহারা পাল্টে দিয়েছে। পর্যটকেরা এসব দেখে মুগ্ধ।রামু কেন্দ্রীয় সীমাবিহারে দেখা গেল, জাপান থেকে আসা ৪৫ জনের একটি দল। এর আগে চট্টগ্রামের একটি বিদ্যালয়ের দুই শতাধিক শিক্ষার্থী রামু ভ্রমণ করছে। চট্টগ্রাম থেকে ভ্রমণে আসা ব্যবসায়ী ছিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘পাহাড়চূড়ার ১০০ ফুট লম্বা বুদ্ধমূর্তি দেখে মনে হলো থাইল্যান্ড অথবা সিঙ্গাপুর ঘুরছি। কক্সবাজারের সমুদ্রসৈকত ভ্রমণের পাশাপাশি লোকজন রামুর বৌদ্ধপল্লি দেখতে ছুটে আসছে।’ ১০০ ফুট সিংহশয্যার বিমুক্তি বিদর্শন ভাবনাকেন্দ্র বৌদ্ধবিহারের ভিক্ষু করুণাশ্রী মহাথের বলেন, এশিয়ার বৃহৎ এই বুদ্ধমূর্তি দেখতে প্রতিদিন কয়েক শ দেশি-বিদেশি পর্যটকের সমাগম ঘটছে।গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে ফেসবুকে পবিত্র কোরআন শরিফ অবমাননার ছবিকে কেন্দ্র করে উগ্র ধর্মান্ধগোষ্ঠী রামুর ১২টি এবং পরদিন উখিয়া ও টেকনাফে আরও সাতটি বৌদ্ধবিহারে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করে। এরপর সেনাবাহিনী প্রায় ২০ কোটি টাকা ব্যয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ১৯টি বৌদ্ধবিহার ও বসতি পুনর্নির্মাণ করে দেয়। ৩ সেপ্টেম্বর শেখ হাসিনা রামু ও উখিয়ায় গিয়ে নতুন বিহারের উদ্বোধন করেন।টেলিফোনে বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া বেশি কথা বলেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সে তুলনায় অনেক কম কথা বলেছেন। এই আলোচনায় নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে সংলাপে অনিশ্চয়তা সৃষ্টির কোনো কারণ আমি দেখছি না। মূল বিষয় হচ্ছে, নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনা হতে হবে। রাজনীতিবিদদের মধ্যে অনড় অবস্থান সব সময়ই থাকে। কিন্তু যুদ্ধ যখন চরমে ওঠে তখনই সন্ধি হয়। এখানেও সন্ধি হতেই হবে। দুই নেতাই দেশকে ভালোবাসেন। আশা করি দেশের স্বার্থে তাঁরা একমত হবেন। একসঙ্গে কাজ করবেন।দুই নেত্রীর টেলিফোন আলাপ প্রকাশেও কোনো অসুবিধা দেখছি না। তবে দুজনের কথোপকথনের মধ্যে ব্যক্তিগত অংশটুকু বাদ দিয়ে শুধু রাজনীতিসংশ্লিষ্ট অংশটুকু প্রকাশিত হলে ভালো হতো। তাঁরা তো দেশের মানুষের জন্য পরস্পরের সঙ্গে কথা বলেছেন, মানুষের জন্য আলোচনা করেছেন। এ জন্য কথোপকথনের ‘পাবলিক রিলেটেড’ অংশ জানার অধিকার দেশের মানুষের আছে এবং তা জানতে সবাই আগ্রহী বলেও আমি মনে করি। কিন্তু ব্যক্তিগত অংশটুকু যেমন কেক কাটা, জন্মদিন পালন করা এগুলো উন্মুক্ত হওয়া ঠিক হয়নি। আমরা তো নিজেদের মধ্যে অনেক ব্যক্তিগত কথা বলি, এগুলো কি মানুষের জানা ঠিক?রফিক-উল হকজ্যেষ্ঠ আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টযশোরের কেশবপুরের একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি ও গণজাগরণ মঞ্চের আহ্বায়ক আবু বক্কর সিদ্দিকীর ওপর গতকাল বৃহস্পতিবার হামলা হয়েছে। জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা এই হামলা করেছে বলে তিনি অভিযোগ করেছেন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।জানা গেছে, গতকাল সকালে তিনি কেশবপুর থেকে যশোরের উদ্দেশে রওনা হন। পথিমধ্যে মনিরামপুরের চিনাটোলায় রাস্তা অবরোধকারী জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা তাঁর ওপর লাঠি দিয়ে হামলা চালান।আবু বক্কর সিদ্দিকী অভিযোগ করেন, জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা তাঁকে ‘নাস্তিক’ বলে লাঠি দিয়ে মাথায়, হাতে-পায়ে ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করেন। সঙ্গে থাকা আইনজীবীরা তাঁকে কোনো রকমে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী সাংবাদিকদের রক্ত পরীক্ষা করা দরকার বলে কটূক্তি করলে তিনি যশোরের আদালতে সাঈদীর নামে ২০০১ সালে মামলা করেন। মনিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মীর রেজাউল হোসেন রেজা জানিয়েছেন, এ ঘটনায় মামলা হলে অপরাধীদের গ্রেপ্তার করা হবে।বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির (বিসিএস) ‘বার্ষিক সাধারণ সভা ২০১৩’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত শনিবার ঢাকায় অনুষ্ঠিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন সমিতির সভাপতি মোস্তাফা জব্বার। সভায় বিসিএসের সহসভাপতি মো. মঈনুল ইসলাম, মহাসচিব মো. শাহিদ-উল-মুনীর, কোষাধ্যক্ষ মো. জাবেদুর রহমান এবং পরিচালকবৃন্দ এ টি শফিক উদ্দিন আহমেদ, মো. ফয়েজউল্যাহ খান ও মজিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। সভায় সমিতির ২০১৩ সালের কর্মকাণ্ডের বিবরণী বিগত বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং আগামী অর্থবছরের জন্য সমিতির বাজেটের বিস্তারিত তুলে ধরা হয়। এসব আলোচনা ও মতামতের পরিপ্রেক্ষিতে উত্থাপিত বিষয়াবলি সভায় সিদ্ধান্ত আকারে গৃহীত হয়। —বিজ্ঞপ্তি |
মারিয়া ভূঁইয়াকে দেখে তার বন্ধুরা মাঝেমধ্যে ঈর্ষায় জ্বলে যায়, ‘একজন মানুষের ভেতর এত প্রতিভা থাকার দরকার কী!’ কখনো কখনো আবার গর্বে চেঁচিয়ে ওঠে, ‘এত অল্প বয়সেই আমাদের এই বন্ধুর এত অর্জন!’বন্ধুদের দোষ দিয়ে লাভ নেই। সব দোষ (!) আসলে মারিয়ারই। সবে পা দিয়েছেন উচ্চমাধ্যমিক দ্বিতীয় বর্ষের চৌকাঠে। অথচ এর মধ্যেই কি না নিজের নামের সঙ্গে যুক্ত করে ফেলেছেন ‘বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী’ শব্দটি। এই মারিয়া ভূঁইয়া, যাকে বন্ধু ও আত্মীয়রা চেনেন ‘কথা’ নামে, তার প্রতিভার প্রমাণ দিতে শুরু করে শৈশব থেকেই। যখন দ্বিতীয় শ্রেণীতে পড়ে তখন আন্তস্কুল চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় ‘প্রথম’ হয়ে ছোট হাতে তুলে নে বড় পুরস্কার। তার পর থেকে কেবলই সাফল্যের ধারাবাহিকতা। ২০০৪ সালে আন্তস্কুল ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় দৌড় বিভাগে প্রথম, ২০০৫ সালে শিশু একাডেমি আয়োজিত চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় সেরা, ২০০৭ সালে সংগীত একাডেমি আয়োজিত গানের প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয়, ২০০৮ সালে স্কুল বিতর্ক উৎসবে শ্রেষ্ঠ বক্তা; একই বছর রচনা প্রতিযোগিতা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় প্রথম এবং হাতের লেখা সুন্দর প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় স্থান অর্জন। মাঝে ২০০৬ সালে পঞ্চম শ্রেণীতে বৃত্তি পেয়ে সাফল্যের ঔজ্জ্বল্য ছড়ায় আরও।মারিয়ার আরেকটি প্রতিভা দেখে বন্ধুরা তো বটেই, শিক্ষকেরাও মুগ্ধ না হয়ে পারেন না। লেখে বাঁ হাতে। কিন্তু সে লেখা যেন মুক্তার দানা। আবার যখন টেবিল টেনিস ও ব্যাডমিন্টন খেলে, তখন খেলে বাঁ-ডান, দুই হাতেই।তেজগাঁও কলেজে ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে পড়ুয়া এই মেধাবী শিক্ষার্থী এখন অবশ্য দিনমান ডুবে থাকে পড়ালেখা, বিতর্ক চর্চা আর গানের মধ্যে। গানের হাতেখড়ি তার মায়ের কাছে। মা রেণু আহমেদ নিজেও ভালো গান করেন। ‘আমার মা-ই আমার গানের অনুপ্রেরণা। যখন আমার বয়স আড়াই বছর, তখন মায়ের কাছে “আয় তবে সহচরী” গান শিখেছি।’ বলছিল মারিয়া।এরপর অবশ্য বাংলাদেশ টেলিভিশনের সংগীত পরিচালক চৌধুরী নিজামুল হকের কাছেও তালিম নিয়েছি। এখন উচ্চাঙ্গ ও নজরুলসংগীতের তালিম নিচ্ছি ওস্তাদ ইয়াকুব আলী খানের কাছে।’ আগের কথার সঙ্গে যুক্ত করলেন তিনি। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাসুদেব গ্রামে জন্ম নেওয়া এই মেধাবী এখন থাকে ঢাকার মিরপুরে। স্বপ্ন দেখে ভবিষ্যতে সাংবাদিক হওয়ার। সেভাবেই নিজেকে প্রস্তুত করছে। তবে আপাতত প্রস্তুতি নিচ্ছে অন্য একটা বিষয়ে। সেটা কী? ‘তেজগাঁও কলেজ থেকে নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে আমরা ১৫ জন শিক্ষার্থী ভারতের লক্ষৌ যাচ্ছি একটা প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে। বুঝতেই পারছেন প্রস্তুতিটা তাই আটঘাট বেঁধেই নিতে হচ্ছে।’ বলল মারিয়া।দেশে রাজনৈতিক সংঘাত বেড়ে যাওয়া এবং লোকজনের প্রাণহানিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে কানাডা। দেশটি সংকট নিরসন এবং সব দলের অংশগ্রহণে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে প্রধান দুই রাজনৈতিক দলকে সংলাপে বসার আহ্বান জানিয়েছে।ঢাকায় কানাডার হাইকমিশন গতকাল মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে এ প্রতিক্রিয়া জানায়।চলমান পরিস্থিতি নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি আজ বুধবার দুপুরে তাঁর দপ্তরে ঢাকায় কর্মরত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক ও আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের ব্রিফ করবেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা গতকাল প্রথম আলোকে জানিয়েছেন, আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সরকারের পরিকল্পনা ও সংবিধানের আলোকে সরকারের অবস্থান উন্নয়ন-সহযোগীদের কাছে তুলে ধরা হবে।প্রাণঘাতী সহিংসতা বেড়ে যাওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে কানাডা সমাজের ক্রমবর্ধমান বিভাজন রোধ করতে শান্তিপূর্ণভাবে কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সব রাজনৈতিক দলকে আহ্বান জানিয়েছে।কমিশনের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বিক্ষেভের সময় প্রাণহানির ঘটনা আমাদের মর্মাহত করেছে। মানবাধিকার, গণতন্ত্র ও বহুমতের মতো মূল্যবোধ সমুন্নত রাখাকে বাংলাদেশ সমর্থন করে। কিন্তু কোনো রাজনৈতিক দল ও গোষ্ঠীর সহিংসতার পথে যাওয়াটা এসব মূল্যবোধের পরিপন্থী। চলমান রাজনৈতিক সংকট দূর করতে সব রাজনৈতিক দলের সহিংসতার পথ ছেড়ে সংলাপে যুক্ত হওয়া উচিত। কেননা, সব দলের অংশগ্রহণে আগামী নির্বাচন স্বচ্ছ, বিশ্বাসযোগ্য ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হওয়া নিশ্চিত করবে সংলাপ।’কানাডা বলছে, ‘সহিংসতা ও উত্তাল রাজনীতির জন্য বাংলাদেশের অর্থনীতি ও জনগণকে বিশেষ করে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে যে মূল্য দিতে হচ্ছে, তাতে আমরা উদ্বিগ্ন। আমরা বিশ্বাস করি, শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ যেমন মৌলিক গণতান্ত্রিক অধিকার, তেমনিভাবে এর জবাব কখনো সহিংস হতে পারে না।’বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘দুই দলকে আমরা সংলাপে বসতে এবং একে অন্যকে আস্থায় নিয়ে চলমান রাজনৈতিক সংকট সমাধানের উপায় খুঁজে বের করার পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানাই। একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের উপায় খুঁজে বের করতে সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে গঠনমূলক সংলাপ জরুরি। একের-অন্যকে আস্থায় নিয়ে রাজনৈতিক সংলাপে বসলে তা অস্থিতিশীলতা ও সহিংসতামুক্ত পরিবেশ তৈরিতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।’রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার ইকরচালী ইউনিয়নের বাজারের মধ্য দিয়ে চলে যাওয়া সড়ক দিয়ে যাতায়াত করতে গিয়ে হাঁপিয়ে উঠতে হয় ইকরচালী ও হাড়িয়ারকুঠি ইউনিয়নের ৪০ হাজার মানুষকে। কারণ বাজারের ভেতর দিয়ে রাস্তাটি যাওয়ায় সপ্তাহে তিন দিন এটি দখল করে হাট বসে। বাকি চার দিনও সড়কের বেশির ভাগ অংশ দখল করে পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসেন বিক্রেতারা।এলাকাবাসী জানান, এ বাজারের ভেতর দিয়ে হাড়িয়ারকুঠি ইউনিয়নের দিকে চলে যাওয়া একমাত্র পাকা রাস্তাটি দিয়ে ইকরচালী ও হাড়িয়ারকুঠি ইউনিয়নের বাসিন্দারা যাতায়াত করে। দিন-রাত চলে রিকশাভ্যান, মোটরসাইকেল, টেম্পো। বাজারের আশপাশে রয়েছে পাঁচটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। প্রতিদিন এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কয়েক হাজার শিক্ষার্থীও চলাচল করে এ রাস্তা দিয়ে। সপ্তাহের রবি, মঙ্গল ও বৃহস্পতিবার হাট বসে এখানে। তখন সাধারণ মানুষের ভোগান্তি চরমে পৌঁছে।২১ নভেম্বর সরেজমিনে দেখা যায়, অনেক দোকানি জায়গার অভাবে ইকরচালী উচ্চবিদ্যালয়ের পেছন থেকে শুরু করে ইকরচালী কবরস্থান পর্যন্ত রাস্তাটি দখল করে শাকসবজি, মাছ, হাঁস-মুরগি, দুধ ও ফলমূলের দোকান সাজিয়ে বসেছেন। এরই মধ্যে ঠেলাঠেলি করে পথ করে নিচ্ছেন নিরুপায় পথচারীরা।ইকরচালী উচ্চবিদ্যালয়ের ছাত্রী তানজিনা খাতুন বলে, হাটের দিনে রিকশাভ্যান নিয়ে বিদ্যালয় পর্যন্ত যাওয়াও মুশকিল। হাঁটাও কষ্ট।ইকরচালী নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জুলফিকার হোসেন বলেন, ‘হাটে নানা রকমের লোক ভিড় করে। ছেলেরা যাও-বা ঠেলেঠুলে আসে, মেয়েদের তো খুবই সমস্যা হয়।’এদিকে সবজি বিক্রেতা আমিনুর ইসলাম জানান, হাটে জায়গা না থাকায় যুগ যুগ ধরেই রাস্তার দুই পাশেই সবজির বাজার বসে। জায়গা পেলে কেউ রাস্তায় দোকান বসাত না।হাটের ইজারাদার জয়নাল আবেদীন বলেন, জায়গার সমস্যার কারণে ইকরচালী ডিগ্রি কলেজ মাঠে ধান ও বাঁশের বাজার বসাতে হচ্ছে।ইউএনও সৈয়দ ফরহাদ হোসেন বলেন, সুষ্ঠু পরিকল্পনা করে এ সমস্যার সমাধান করা হবে।যুক্তরাজ্যভিত্তিক সাময়িকী দি ইকোনমিস্টকে আদালত অবমাননার অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। বিচারপতি এ টি এম ফজলে কবীরের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১ গতকাল রোববার এ আদেশ দেন।আদেশে বলা হয়, সাময়িকীটির চীন সংস্করণের সম্পাদক রব গিফোর্ড এবং দক্ষিণ এশীয় ব্যুরোর প্রধান এডাম রবার্টসের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাঁদের অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হলো। তবে আদেশের পর্যবেক্ষণে ট্রাইব্যুনাল বলেন, ট্রাইব্যুনালের কোনো সদস্যের সঙ্গে কোনো সাংবাদিক সরাসরি বা টেলিফোনে যোগাযোগ করতে পারবেন না। মামলাসংক্রান্ত তথ্যের প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট আইনজীবীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে বা ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রারের কাছে আবেদন করে তথ্য সংগ্রহ করতে হবে। আইন লঙ্ঘন করে বা অবৈধ উপায়ে কোনো তথ্য সংগ্রহ করে তা গণমাধ্যমে প্রকাশ বা প্রচার করা উচিত হবে না। এ ছাড়া ট্রাইব্যুনালের নৈমিত্তিক বিচারিক কার্যক্রম নিয়ে খবর প্রকাশে গণমাধ্যমকে সতর্ক থাকতে হবে।একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধকালের মানবতাবিরোধী অপরাধের চলমান বিচার-প্রক্রিয়ায় বাধা সৃষ্টি করা এবং ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যানের ই-মেইল ও স্কাইপ অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে গোপনীয়তা নষ্টের অভিযোগে গত বছরের ৬ ডিসেম্বর ইকোনমিস্ট-এর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করেন ট্রাইব্যুনাল-১। ওই সময় এই ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান ছিলেন বিচারপতি নিজামুল হক। |
তারা আটজন। তারা দিনে ঘুমায়, আর মধ্যরাত থেকে ভোর পর্যন্ত রাস্তায় ছিনতাই করে। তাদের লক্ষ্য দূরপাল্লার বাস ও ট্রেনের যাত্রী এবং রাতের বেলায় বের হওয়া লোকজন। প্রতি মাসে গড়ে আট থেকে দশটি ছিনতাই করে তারা। একা পেলে চালকের কাছ থেকে গাড়িও ছিনিয়ে নেয়।গতকাল শনিবার কোতোয়ালি থানায় পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে এমন তথ্য দেয় সম্প্রতি গ্রেপ্তার হওয়া তিন ছিনতাইকারী। তাদের দলনেতা মো. আসলাম। আসলাম জানায়, ছয় বছর ধরে গভীর রাত থেকে ভোর পর্যন্ত ছিনতাই করে তারা। কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. কামরুজ্জামান বলেন, ‘গভীর রাতে ছিনতাইয়ের জন্য রাস্তায় নামে তারা। তাদের বিরুদ্ধে সাত-আটটি মামলা রয়েছে।’পুলিশ সূত্র জানায়, রাতের বেলায় ছিনতাইয়ের ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় প্রতি মাসে গড়ে আট থেকে দশটি মামলা হয়।তবে বেশির ভাগ ভুক্তভোগী ঝামেলার কারণে মামলায় জড়ান না বলে জানা গেছে।আটক তিন ছিনতাইকারী আসলাম, জামাল হোসেন ও আবদুর রহিম গতকাল কোতোয়ালি থানা কার্যালয়ে জানায়, নগরের গরীবউল্লাহ শাহ মাজার বাস কাউন্টার, সার্সন রোড, কদমতলী রেলস্টেশন, সিআরবি, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের গোয়াছি বাগান, দুই নম্বর গেট, ইস্পাহানি মোড়সহ ১০টি স্থানে তারা ওত পেতে থাকে। মধ্যরাত থেকে ভোর পর্যন্ত অবস্থান করে। ট্রেন ও বাসযাত্রীরাই তাদের প্রধান লক্ষ্য। যাত্রী ও সাধারণ মানুষের কাছ থেকে টাকা, মুঠোফোনসহ মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেয় তারা। অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে ছোরা ও খেলনা পিস্তল। গত মে মাসে নগরের ইস্পাহানি মোড়ে এক মোটরসাইকেল আরোহীর মাথায় আঘাত করে একটি মোটরসাইকেল ছিনতাই করেছে তারা।ছিনতাইকারীদের দলনেতা আসলাম জানায়, তাদের দলে আটজন সদস্য রয়েছে। ছয় বছর ধরে তারা ছিনতাই করছে।পুলিশ সূত্র জানায়, আসলাম গত ৪ জুলাই ছিনতাইয়ের একটি মামলায় জামিনে বেরিয়ে এসে আবারও জড়িয়ে পড়ে ছিনতাইয়ে।কোতোয়ালি থানার এসআই ইলিয়াছ খান বলেন, ‘একটি ছিনতাইয়ের মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তিন ছিনতাইকারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে রিমান্ডে আনা হয়েছে। রিমান্ডে তারা ছিনতাইয়ে জড়িয়ে পড়ার কথা স্বীকার করেছে।’নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের দাবিতে আগামী ৪, ৫ ও ৬ নভেম্বর সারা দেশে অবরোধ কর্মসূচি পালন করবে বিএনপি। গতকাল মঙ্গলবার রাতে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসন ও বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়।বৈঠকে ২ নভেম্বর শনিবার সারা দেশে বিক্ষোভ-সমাবেশ কর্মসূচি পালনেরও সিদ্ধান্ত হয়। স্থায়ী কমিটির বৈঠকে উপস্থিত কয়েকজন নেতার সঙ্গে বৈঠকের পর কথা বলে এসব সিদ্ধান্ত জানা গেছে। বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮-দলীয় জোটের শরিকদের সঙ্গে আলোচনার পর এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হতে পারে। এই কর্মসূচি পালনের মাধ্যমে সারা দেশের সড়কপথ, রেলপথ ও নৌপথ অবরোধ করা হবে।এদিকে ১৮-দলীয় জোটের ডাকা টানা ৬০ ঘণ্টার হরতাল শেষে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর হরতালে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের হত্যা, গ্রেপ্তার ও হামলা-মামলার প্রতিবাদে কাল বৃহস্পতিবার সারা দেশে প্রতিবাদ সমাবেশ ও শুক্রবার গায়েবানা জানাজার কর্মসূচি ঘোষণা করেন।সূত্র জানায়, রাতে স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হলে বিএনপি নির্বাচন প্রতিহত করার কর্মসূচির দিকে যাবে। তখন টানা হরতাল বা অবরোধ বা প্রয়োজনে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে। বৈঠকে সংলাপে বসা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণ-পরবর্তী করণীয় নিয়েও কিছু কথা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে দলীয় চেয়ারপারসন খুব বেশি কিছু স্থায়ী কমিটির সদস্যদের জানাননি।জানতে চাইলে স্থায়ী কমিটির কয়েকজন সদস্য জানান, চেয়ারপারসন মনে করেন, সরকার সংলাপের কথা বলে নাটক করতে চেয়েছে এবং সেটা করেও ফেলেছে। সংলাপ একটি ডেড ইস্যু। বিএনপিকে আন্দোলনের পথেই থাকতে হবে।বৈঠকে মির্জা ফখরুল, স্থায়ী কমিটির সদস্য আর এ গনি, খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, মাহবুবুর রহমান, রফিকুল ইসলাম মিয়া, নজরুল ইসলাম খান, জমির উদ্দিন সরকার, এম কে আনোয়ার, আ স ম হান্নান শাহ, সারোয়ারী রহমান, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান উপস্থিত ছিলেন।‘সরকার সমঝোতার চেয়ে দুরভিসন্ধিমূলক কাজে বেশি ব্যস্ত’: হরতাল শেষে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল অভিযোগ করেন, সরকার সমঝোতার চেয়ে দুরভিসন্ধিমূলক কাজে বেশি ব্যস্ত। সরকারের উদ্দেশ্য ছিল সাজানো নাটক দেখিয়ে সংলাপ-সংলাপ খেলা করবেন।বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব দাবি করেন, ৬০ ঘণ্টার হরতালে সারা দেশে ১৮-দলীয় জোটের ১৮ জন নেতা-কর্মী নিহত ও সাত হাজারের বেশি আহত হয়েছেন। গ্রেপ্তার করা হয়েছে দুই হাজার ৬৩০ জনকে ও ৮২ হাজার নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে।বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ঢাকা মহানগরের আহ্বায়ক সাদেক হোসেন খোকা ও সদস্যসচিব এম এ সালামের বাড়িতে সরকারি দল হামলা করেছে বলে দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, বিরোধী দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের বাড়িতে হামলার যথাযথ উত্তর দিতে বিএনপি হাত গুটিয়ে বসে থাকবে না।ফখরুল জানান, বৃহস্পতিবার ঢাকার নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশের অনুমতি চাওয়া হয়েছে। পরদিন জুমার নামাজের পর হরতালে নিহত দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে সারা দেশে গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। পরবর্তী কর্মসূচি দলের স্থায়ী কমিটি ও ১৮ দলের বৈঠকের পর ঘোষণা করা হবে বলে তিনি জানান।সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এম কে আনোয়ার, যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী উপস্থিত ছিলেন।বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদসহ পাঁচ নেতার জামিনের আবেদন নাকচ করে দিয়েছেন ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালত। জামিনের আবেদনের ওপর অধিকতর শুনানি শেষে বিচারক মো. জহুরুল হক গতকাল বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন।অপর চার নেতা হলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য রফিকুল ইসলাম মিয়া, এম কে আনোয়ার, দলটির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুল আউয়াল মিন্টু ও বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস।এদিকে বিএনপির এই পাঁচ নেতার মুক্তি চেয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত জার্মানির রাষ্ট্রদূত আলব্রেখট কনজে। গতকাল পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সঙ্গে তাঁর দপ্তরে বৈঠকের পর তিনি সাংবাদিকদের বলেন, তাঁদের মুক্তির জন্য সম্ভাব্য সবকিছু করতে তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অনুরোধ করেছেন।রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ঢাকা মহানগরের কৌঁসুলি আবদুল্লাহ আবু।আসামিপক্ষে আইনজীবী মাহবুব উদ্দিন খোকন আদালতে বলেন, ১৭ নভেম্বর হাইকোর্ট তদন্ত কর্মকর্তাকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন। কিন্তু তদন্ত কর্মকর্তা এত দিনেও জিজ্ঞাসাবাদ করেননি।জন্মের পর শিশুদের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় লালচে, নীলচে, এমনকি কালো বা বিভিন্ন রঙের দাগ দেখা যায়। এগুলো জন্মদাগ নামে পরিচিত। জন্মদাগ ঠিক কেন হয় তা পুরোপুরি জানা যায়নি।জন্মদাগ সাধারণত দুই ধরনের। ভাসকুলার মার্ক বা রক্তনালিজনিত জন্মদাগ। এটি সাধারণত ত্বকের নিচের অস্বাভাবিক রক্তনালি বা জমাট রক্তের জন্য দেখা যায়। এগুলো লালচে, গোলাপি বা নীলচে হতে পারে। আর রয়েছে পিগমেন্টেড মার্ক বা রঙিন দাগ। এর কারণ মূলত ত্বকের নিচে রক্তে পিগমেন্ট বা বর্ণ সৃষ্টিকারী উপাদান জমা হওয়া। যেমন মঙ্গোলিয়ান দাগ। এটিই বেশি সাধারণত হয় এবং অনেক শিশুই এ রকম জন্মদাগ নিয়ে জন্মায়। এগুলো কালচে বা নীলচে রঙের। এখন প্রশ্ন হলো, বিভিন্ন ধরনের জন্মদাগের কোনো চিকিৎসার প্রয়োজন আছে কি না। উত্তর হলো—নেই। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এসব দাগের কোনো গুরুত্ব নেই। তবে রক্তনালিজনিত দাগ, যেমন হেমানজিওমা, যা অস্বাভাবিক রক্তনালির ফুলে ওঠার কারণে হয়ে থাকে। এটি কখনো কখনো সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। তার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া যেতে পারে। নয়তো জন্মদাগ নিয়ে চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই। শিশুস্বাস্থ্য বিভাগ, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। |
অমানবিক নির্যাতনের শিকার শিশু গৃহকর্মী আদুরির শরীরে পোড়া ও কাটা ক্ষতে সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। সে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) চিকিৎসাধীন আছে।হাসপাতাল সূত্র জানায়, গত শুক্রবার রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক এইচ এ এম নাজমুল আহসানকে প্রধান করে সাত সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। গতকালই মেডিকেল বোর্ড তার চিকিৎসাসেবা শুরু করেছে।মেডিকেল বোর্ডের সদস্য বিলকিছ বেগম প্রথম আলোকে বলেন, ডাস্টবিনে পড়ে থাকায় সময়মতো চিকিৎসা না পেয়ে আদুরির ক্ষতস্থানে সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। সে অপুষ্টি ও রক্তশূন্যতায় ভুগছে। তাকে স্বাভাবিক খাবার দেওয়া হলেও শারীরিক দুর্বলতার কারণে সে স্পষ্ট করেও কথা বলতে পারছে না।বিছানার পাশে মেয়ের শরীরে নির্যাতনের ক্ষত দেখে তার মা সুফিয়া বেগম ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছিলেন। তিনি বলেন, ‘সোংসার চলে না। কোনো উপায় না দেইখ্যা দুই মাইয়ারে ঢাকায় কাজে দেছেলাম। আদুরিরে ৫০০ টাহা মাসিক ব্যাতন দেওয়ার কথা থাকলেও ওরা এক টাহাও দেয় নায় আমারে। ওরা আমার মাইয়াডারে এমনভাবে নির্যাতন করল ক্যান? বাড়িতে ফেরত পাডাইয়া দেত।’গত রোববার বিকেলে দুই নারী বারিধারা ডিওএইচএস এলাকার একটি ডাস্টবিনে জীবন্মৃত অবস্থায় শিশু আদুরিকে (১১) উদ্ধার করেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা পেয়ে কিছুটা সুস্থ হয়ে ওঠার পর আদুরি হাসপাতালে প্রথম আলোকে জানায়, গৃহকর্ত্রী তাকে মারধর করত। ব্লেড দিয়ে তার শরীরে কেটে দেওয়া ও আয়রন (ইস্তিরি) দিয়ে ছ্যাঁকা দেওয়া হয়েছে।এ নিয়ে একাধিক দৈনিকে খবর ছাপা হলে গত বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন বিভাগের কর্মকর্তারা পল্লবী থানার সহায়তায় পল্লবীর ১২ নম্বর সেকশনে আদুরির গৃহকর্ত্রী নওরীনের বাসা শনাক্ত করেন এবং সেখান থেকে তাঁকে আটক করেন।পল্লবী অঞ্চলের পুলিশের জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার (এসি) মোহাম্মদ কামাল হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, গত শুক্রবার আদুরির মামা মো. নজরুল চৌধুরী বাদী হয়ে নওরীন জাহানকে আসামি করে পল্লবী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেন। এ মামলায় নওরীনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। রিমান্ডে আদুরিকে নির্যাতনের কথা স্বীকার করেন নওরীন। তবে নওরীন দাবি করেন, আদুরি কথামতো কাজ করত না এবং সে চুরি-চামারি করত। আজ থেকে (ডিএমপি) উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন বিভাগ মামলার তদন্ত করবে।গতকাল শনিবার ডিএমপি কমিশনার বেনজীর আহমেদ ওসিসিতে চিকিৎসাধীন আদুরিকে দেখতে যান। তিনি আদুরির সার্বিক খরচ বহন করতে ডিএমপির উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন বিভাগকে নির্দেশ দেন।অতীতের সব রেকর্ড ছাপিয়ে চলতি মাসের শেষ সপ্তায় বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার মজুত ১৭ বিলিয়ন ডলার বা এক হাজার সাত শ কোটি ডলারের নতুন মাইলফলক ছুঁয়েছে। বৈদেশিক মুদ্রার মজুতে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয়। প্রবাসীদের পাঠানো প্রবাসী-আয় বা রেমিট্যান্সের ওপর ভর করেই রিজার্ভ এই উচ্চতায় পৌঁছেছে। বিশ্বব্যাংকের হিসাবে, বিশ্বে প্রবাসী-আয়ের শীর্ষ দশ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান এখন সপ্তম।প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) তথ্য অনুযায়ী, কেবল রেমিট্যান্সেই নয়, জনশক্তি রপ্তানিতেও এই সরকার রেকর্ড ছুঁয়েছে। বিএনপি জোট সরকারের চেয়ে গত পৌনে পাঁচ বছরে ১০ লাখ ৪৩ হাজার ২৪২ জন কর্মী বেশি বিদেশে গেছেন।তবে এই খাতের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জনশক্তি রপ্তানি খাতে অনেক সফলতা থাকলেও সৌদি আরব, কুয়েত, ইরাকের মতো বন্ধ শ্রমবাজার চালু করতে পারেনি সরকার। এ ছাড়া যাঁরা এত কষ্ট করে অর্থ পাঠাচ্ছেন, সেই প্রবাসীরা এখনো বঞ্চিত। তাঁদের কল্যাণের বিষয়টি অতীতের মতোই এই সরকারের আমলেও অবহেলিত রয়ে গেছে, বরং এখনো পাসপোর্ট করা থেকে শুরু করে বিদেশে যেতে-আসতে বিমানবন্দরে হয়রানি, দূতাবাসে গিয়ে অবহেলা, দুর্ভোগ—এই সমস্যাগুলো রয়েই গেছে।প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিএনপি জোট সরকারের চেয়ে জনশক্তি রপ্তানি ৭৮ ভাগ এবং প্রবাসী-আয় ২১১ ভাগ বেড়েছে। কেবল তা-ই নয়, এই খাত দালালমুক্ত হয়েছে। সরকারিভাবে এখন মাত্র ৩০ থেকে ৩২ হাজার টাকায় কর্মীরা বিদেশে যাচ্ছেন। এই খাতে এত দিন কোনো আইন ছিল না। আমরা বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও অভিবাসী আইন করেছি। সব মিলিয়ে বলা যায়, তিন দশক ধরে এই খাতে যে বিশৃঙ্খলা ছিল, সেগুলো দূর হয়েছে।’বিএমইটির তথ্য অনুযায়ী, ২০০১ সালের অক্টোবরে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর ২০০৬ সালের অক্টোবর পর্যন্ত মোট ১৩ লাখ ২৮ হাজার ৮২৬ জন কর্মী বিদেশে গিয়েছিলেন। আর ২০০৯ সালের জানুয়ারি থেকে এ বছরের ২২ অক্টোবর পর্যন্ত ২৩ লাখ ৭২ হাজার ৬৮ জন কর্মী বিদেশে গেছেন। বিএনপির পাঁচ বছরে প্রবাসী-আয় এসেছে এক হাজার ৮৭৪ কোটি ডলার। আর এই সরকারের সময়ে রেমিট্যান্স এসেছে পাঁচ হাজার ৮৩৯ কোটি ডলার।এ ছাড়া গত চার বছরে নারী অভিবাসনও বেড়েছে। জোট সরকারের সময়ে যেখানে পাঁচ বছরে ৪৩ হাজার ৮৩৮ জন নারী কর্মী বিদেশে গেছেন, সেখানে এই সরকারের সময়ে এক লাখ ৬১ হাজার ৯২১ জন নারী কর্মী বিদেশে গেছেন। নারী কর্মীদের বিদেশে পাঠানোর আগে এখন ২১ দিনের একটি প্রশিক্ষণও দেওয়া হচ্ছে। তবে এত কিছুর পরেও লেবাননসহ মধ্যপ্রাচ্যে নারীরা নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন।প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রী বলেন, বিদেশগামীদের সহায়তা করতে প্রবাসীকল্যাণ ব্যাংক করা হয়েছে। সরকারিভাবে নাম নিবন্ধনের মাধ্যমে বিদেশে কর্মী পাঠানোর কারণে দালালপ্রথা বন্ধ হয়েছে। চার বছর পর মালয়েশিয়ায় সরকারিভাবে কর্মী পাঠানো এই সরকারের একটি সাফল্য।ব্যর্থতা যেখানে: জনশক্তি রপ্তানি খাতের ব্যবসায়ীরা বলছেন, কর্মী যাওয়া বাড়লেও বন্ধ থাকা সৌদি আরব, ইরাক, কুয়েত ও লিবিয়ার বাজার চালু করতে পারেনি সরকার। সংযুক্ত আরব আমিরাতের বাজার বন্ধ হয়ে যাওয়া আরেকটি ব্যর্থতা। এ ছাড়া নতুন শ্রমবাজার অনুসন্ধানের জন্য বর্তমান সরকার পাঁচটি কমিটি করেছিল। কিন্তু গত পাঁচ বছরেও নতুন কোনো বড় শ্রমবাজার খুঁজে পায়নি বাংলাদেশ।গত পাঁচ বছরে প্রায় দেড় লাখ প্রবাসীকে ফিরে আসতে হয়েছে। দেশে এসেছে ১১ হাজার প্রবাসীর মরদেহ। সরকার মানবপাচার আইন করলেও অবৈধভাবে বিদেশে যাওয়া এখনো বন্ধ করতে পারেনি। এ ছাড়া সরকারের সঙ্গে জনশক্তি রপ্তানিকারকদের দ্বন্দ্ব এ খাতে নতুন সংকট তৈরি করেছে। প্রবাসীদের বিশেষ সুবিধার জন্য ২০০৮ সালে সরকার একটি নীতিমালা করলেও এখনো বাস্তবায়ন করা যায়নি।বিশেষজ্ঞদের মতে, বাংলাদেশের অভিবাসন খাতের সবচেয়ে বড় সমস্যা উচ্চ ব্যয়। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর কয়েকবার এ ব্যয় ‘যৌক্তিক পর্যায়ে’ কমিয়ে আনার আশ্বাস দিলেও এ বিষয়ে কোনো নীতিমালা করতে পারেনি। তবে মন্ত্রী বলেছেন, মালয়েশিয়ায় এখন ৩০ থেকে ৩২ হাজার টাকায় কর্মী যাচ্ছেন। মধ্যপ্রাচ্যসহ অন্যান্য দেশেও ভবিষ্যতে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকায় কর্মী যাবেন।অভিবাসনবিষয়ক গবেষণাপ্রতিষ্ঠান রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্টস রিসার্চ ইউনিটের (রামরু) চেয়ারপারসন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক তাসনিম সিদ্দিকী প্রথম আলোকে বলেন, ‘এই সরকারের সময়ে প্রাতিষ্ঠানিক ও অবকাঠামোগত বেশ কিছু পরিবর্তন এসেছে। মন্ত্রণালয়ের পরিসর ও জনবল বেড়েছে। এগুলো ভালো। এ ছাড়া ১৯৮২ সালের অধ্যাদেশটি যুগোপযোগী করা, জাতিসংঘ সনদে স্বাক্ষর—এগুলো ভালো উদ্যোগ।’ব্যর্থতার কথা উল্লেখ করতে গিয়ে তাসনিম সিদ্দিকী বলেন, ‘মালয়েশিয়ার পদ্ধতি বাদ দিলে এখনো কর্মীদের বিদেশে যাওয়ার প্রক্রিয়াটি মধ্যস্বত্বভোগীদের নিয়ন্ত্রণে। আর প্রবাসীদের কল্যাণ অধিকারের বিষয়টিতে তো আমরা অনেক পিছিয়ে আছি। বিদেশ ফেরতদের জন্য কিছুই করা হচ্ছে না। কল্যাণ তহবিলের অর্থে দৈনন্দিন কাজ হচ্ছে। এসব সমস্যা সমাধানে অভিবাসন দশক ঘোষণা করা এবং সব উন্নয়ন পরিকল্পনায় অভিবাসন খাতকে অন্তর্ভুক্ত করা জরুরি।’দিনাজপুরের পার্বতীপুরে জব্দ করা ৩৪০ বস্তা ইউরিয়া সার বিধি লঙ্ঘন করে গোপন সমঝোতার ভিত্তিতে অর্ধেকেরও কম দামে বিক্রি করা হয়েছে। পার্বতীপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এসব সার বিক্রি করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।গতকাল বৃহস্পতিবার পার্বতীপুর মডেল থানা চত্বরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) উপস্থিতিতে নিলামে এ সার বিক্রি করা হয়।নিলামে অংশ নেওয়া নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্যক্তিদের সূত্রে জানা যায়, বিধি অনুযায়ী নিলামের কমপক্ষে সাত দিন আগে জনসমাগম হয় এমন স্থানে নিলাম বিজ্ঞপ্তি প্রদর্শন, মাইকিং এবং নির্ধারিত দিনে সন্তোষজনক দাম না উঠলে পর পর তিন দিন নিলাম ডেকে সর্বোচ্চ দরদাতার কাছে মালামাল বিক্রি করতে হয়।কিন্তু এ ক্ষেত্রে মাইকিং না করে ২৩ নভেম্বর বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ২৮ নভেম্বরই নিলাম শেষ করা হয়। পুলিশ প্রশাসন ও নিলামে অংশ নেওয়া ১৯ জনের মধ্যে গোপন সমঝোতায় এ নিলাম হয় বলে তাঁরা অভিযোগ করেন। নিলামে পুলিশের জব্দ করা ৩৪০ বস্তা ইউরিয়া মাত্র এক লাখ দুই হাজার টাকায় বিক্রি দেখানো হয়। অথচ বর্তমান বাজারে এ পরিমাণ সারের দাম আছে দুই লাখ ৭২ হাজার টাকা।সারগুলো কিনেছেন পার্বতীপুরের রাসায়নিক সার ব্যবসায়ী মেসার্স বাবু এন্টারপ্রাইজের মালিক জাহাঙ্গীর আলম।তবে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও নিলাম আহ্বানকারী নুরুজ্জামান চৌধুরী অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, সব নিয়ম মেনেই নিলাম অনুষ্ঠিত হয়েছে।ইউএনও রাহেনুল ইসলাম বলেন, ‘অর্থের সংস্থান না থাকায় মাইকিং করা হয়নি। তবে আমারও ধারণা, নিলামে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে কোনো সমঝোতা হয়ে থাকতে পারে।’পার্বতীপুর বাফার গুদাম থেকে গত ৮ সেপ্টেম্বর পাচারকালে পুলিশ ওই ইউরিয়া সার জব্দ করে। এ ঘটনায় পার্বতীপুর মডেল থানায় একটি মামলা হয়।প্রশ্ন: রুটি ও নানরুটি খাওয়ার মধ্যে কোনো পার্থক্য আছে কি?উত্তর: অবশ্যই আছে। বাড়িতে তৈরি রুটিতে আটা ও লবণ ছাড়া আর কিছুই নেই। আটায় আঁশ বা ফাইবারও বেশি। কিন্তু নানরুটি তৈরির সময় ময়দা, ঘি বা ডালডা, কলা ইত্যাদি মেশানো হয়। ময়দায় আঁশের পরিমাণও কম। তাই যাঁরা ওজন, শর্করা বা চর্বি কমাতে চান, তাঁদের জন্য হাতে বেলা রুটিই শ্রেয়। আখতারুন নাহার, পুষ্টিবিদ, বারডেম। |
বাঁশখালীতে সফি আলম (৩৮) নামে কোস্টগার্ডের এক সোর্স খুন হয়েছেন। গত শুক্রবার রাতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।বাঁশখালীর বাইশ্যা ডাকাতের সহযোগীরা তাঁকে খুন করেছে বলে বাঁশখালী থানার ওসি কামরুল হাসানের ধারণা। সফি এলাকায় কোস্টগার্ডের সোর্স হিসেবে পরিচিত। ওসি জানান, উপজেলার কদুরখিল এলাকায় বাইশ্যা ডাকাতের বাহিনীরা অবস্থান করছে, এ খবর পেয়ে সফি আলম লোকজন নিয়ে নদীর পাড়ে অবস্থান করেন। এ সময় ডাকাত দল লোকজনের ওপর হামলা চালায়। একপর্যায়ে সফিকে শ্বাসরোধে গুরুতর আহত করে। স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে সফির মৃত্যু হয়। এদিকে বাইশ্যা ডাকাতের সহযোগীরা অবস্থান করছে—খবর পেয়ে কোস্টগার্ড ওই সময় অভিযান চালায়। এ সময় কোস্টগার্ডের সঙ্গে ডাকাত দলের গোলাগুলি হয়। পরে অস্ত্রসহ বাইশ্যা বাহিনীর রহিমা ডাকাতসহ ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করে কোস্টগার্ড।ওসি কামরুল হাসান বলেন, ‘শুক্রবার গ্রেপ্তার হওয়া ১৫ ডাকাতকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তাদের আদালতে হাজির করে রিমান্ডের আবেদন করা হবে। এ ঘটনায় বাঁশখালী থানায় মামলা হয়েছে। গতকাল বিকেল পর্যন্ত আদালতে পাঠানো হয়নি বলে ওসি জানান।একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে আপিল করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাংসদ সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরী। মৃত্যুদণ্ডাদেশ থেকে খালাস চেয়ে গতকাল মঙ্গলবার তাঁর পক্ষে আইনজীবী সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই আপিল দাখিল করেন। এর নম্বর ১২২/১৩।রাষ্ট্রপক্ষ জানিয়েছে, মুক্তিযুদ্ধকালের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এর দেওয়া ওই রায়ের বিরুদ্ধে তারা আপিল করছে না।ট্রাইব্যুনাল-১ মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ১ অক্টোবর সাকা চৌধুরীকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন। তাঁর বিরুদ্ধে আনা রাষ্ট্রপক্ষের ২৩টি অভিযোগের মধ্যে নয়টি প্রমাণিত হয়। ওই রায় ঘোষণার ২৮ দিনের মাথায় গতকাল আসামিপক্ষ আপিল করল। আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) আইনে রায়ের ৩০ দিনের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আপিল করার বিধান রয়েছে।এই নিয়ে দুটি ট্রাইব্যুনালের দেওয়া মানবতাবিরোধী অপরাধের আটটি মামলার রায়ের মধ্যে ছয়টিতে আসামিরা আপিল করলেন। এর মধ্যে জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল কাদের মোল্লার ক্ষেত্রে করা রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের আপিলের শুনানি শেষে গত ১৭ সেপ্টেম্বর রায়ে তাঁকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন আপিল বিভাগ। এখন পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের অপেক্ষায়। গত ৫ ফেব্রুয়ারি ট্রাইব্যুনাল-২ রায়ে কাদের মোল্লাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছিলেন।এ ছাড়া মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া জামায়াতের নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর রায়ের ক্ষেত্রে হওয়া আপিলের শুনানি শুরু হয়েছে। আগামী ১২ নভেম্বর পরবর্তী শুনানি হওয়ার কথা। বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টে অবকাশ চলছে। ২৮ ফেব্রুয়ারি ট্রাইব্যুনাল-১ সাঈদীকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন।সাকা চৌধুরীর আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, আপিল করা হয়েছে। যে চারটি অভিযোগে তাঁকে সর্বোচ্চ সাজা দেওয়া হয়েছে, সে ক্ষেত্রে শোনা সাক্ষীর ওপর নির্ভর করা হয়েছে। আইনিভাবে তা গ্রহণযোগ্য নয়।যেসব অপরাধে সাকা চৌধুরীকে সাজা দেওয়া হয়েছে, সেসব অপরাধ সংঘটনের সময় তিনি দেশে ছিলেন না দাবি করে খন্দকার মাহবুব বলেন, একাত্তরের ২৯ মার্চ থেকে তিনি ওই বছরের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত পাকিস্তানের পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত ছিলেন। সেখান থেকে তিনি লন্ডনে চলে যান। এমনকি অভিযোগের সপক্ষে ওই এলাকা থেকে পারিপার্শ্বিক কোনো সাক্ষীও আসেনি। আপিলে এসব যুক্তি তুলে ধরা হয়েছে।জানতে চাইলে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, আপিলে যে বক্তব্যই দিয়ে থাকুন না কেন, এ মামলায় যে সাক্ষী-সাবুদ হয়েছিল, এর ভিত্তিতে রায় ও সাজা হয়েছে। এখন আপিল বিভাগ দেখবেন আপিলে যেসব যুক্তি দিয়েছেন, সেগুলো সত্যিকার অর্থে গ্রহণ হবে কি না? কাজেই এখন অপেক্ষা করতে হবে আপিল বিভাগে শুনানির জন্য। রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করবে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা আপিল করার সিদ্ধান্ত নিইনি। ট্রাইব্যুনালের রায়ে সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়া হয়েছে। কাজেই সেই শাস্তিটা যাতে বহাল থাকে এবং ওই রায়ের সপক্ষেই আমরা আমাদের বক্তব্য পেশ করব।’ট্রাইব্যুনালের দেওয়া মৃত্যুদণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে জামায়াতের আরেক সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ কামারুজ্জামান, সাবেক আমির গোলাম আযমের ৯০ বছরের কারাদণ্ডাদেশের রায়ের বিরুদ্ধে উভয় পক্ষ এবং মৃত্যুদণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে দলটির সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ আপিল করেছেন। মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার প্রথম রায়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া জামায়াতের সাবেক সদস্য (রুকন) পলাতক আবুল কালাম আযাদ আপিল করেননি। মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার সর্বশেষ রায়ে ৯ অক্টোবর বিএনপির নেতা ও সাবেক মন্ত্রী আবদুল আলীমকে আমৃত্যু কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে বলে জানিয়েছে আসামিপক্ষ।রংপুর নগরের প্রধান ব্যবসাকেন্দ্র জাহাজ কোম্পানি মোড় থেকে বেতপট্টি হয়ে জেলা পরিষদ সুপার মার্কেট পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার সড়কের দুই পাশে হাঁটার পথ (ফুটপাত) নেই। যানবাহনের সঙ্গে মূল সড়ক দিয়েই চলাচল করতে গিয়ে পথচারীদের চরম ভোগান্তির শিকার হতে হয়।এই এলাকার মধ্যে ব্যাংক, বিমা, বিপণিবিতানসহ উল্লেখযোগ্য ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। প্রতিদিন সকাল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এই এক কিলোমিটার এলাকায় মানুষের সমাগম বেড়ে যায়। নগরের বেতপট্টি এলাকায় কেনাকাটা করতে যায় নানা শ্রেণী-পেশার মানুষ। সকাল থেকেই রিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও অন্যান্য হালকা যানবাহনের ভিড় বাড়তে থাকে। হাঁটার পথ না থাকায় মূল সড়কে যানবাহনের সঙ্গে পথচারীদের চলতে হচ্ছে। ফলে সড়ক সংকুচিত হয়ে পড়ছে এবং প্রায়ই যানবাহনের ধাক্কায় ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটছে। পাশাপাশি যান চলাচলও ব্যাহত হচ্ছে।অগ্রণী ব্যাংকের কর্মকর্তা মাজেদুর রহমান বলেন, আলাদা পথ না থাকায় রাস্তা দিয়েই হাঁটতে হয়। রাস্তা দিয়ে হাঁটতে গিয়ে প্রায়ই কোনো না কোনো যানের সঙ্গে ধাক্কা খেতে হয়।স্কুলশিক্ষক সাবিয়া আক্তার বলেন, এভাবে সড়ক দিয়ে হাঁটা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। এ ছাড়া রিকশা, অটোরিকশার চালকদের গালমন্দও শুনতে হয়। বেতপট্টি এলাকার স্বর্ণ ব্যবসায়ী এনামুল হক বলেন, ফুটপাত না থাকলে মানুষ তো রাস্তা দিয়েই হাঁটবে। এর ফলে প্রায়ই ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটছে।মহানগর দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রেজাউল ইসলাম বলেন, যানবাহনের সঙ্গে চলতে গিয়ে পথচারীদের বিড়ম্বনার শেষ নেই।রংপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী এমদাদ হোসেন বলেন, কিছু এলাকায় নগরের প্রধান সড়কের দুই পাশে ফুটপাত নির্মাণ করা হয়েছে। কিছু এলাকায় নির্মাণাধীন রয়েছে। জাহাজ কোম্পানি মোড় থেকে বেতপট্টি হয়ে সুপার মার্কেট পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসাকেন্দ্র এলাকার সড়কে ফুটপাত নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে।রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র সরফুদ্দীন আহমেদ বলেন, নগরের উন্নয়নমূলক কাজ পর্যায়ক্রমে করা হবে। তবে শহরের মূল ব্যবসাকেন্দ্রে মানুষজন যাতে নির্বিঘ্নে চলাফেরা করতে পারে, সে ব্যাপারে শিগগিরই উদ্যোগ নেওয়া হবে।চট্টগ্রামের লালদীঘি মাঠে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের সমাবেশে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন বলেছেন, কাদের মোল্লার ফাঁসি হওয়ার পর খালেদা জিয়ার আসল রূপ দেশের মানুষের কাছে ধরা পড়ে গেছে। তিনি যে পাকিস্তানের দোসর সেটা প্রমাণ হয়ে গেছে।মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের ৪২ বছর উপলক্ষে এই সমাবেশের আয়োজন করে উত্তর, দক্ষিণ ও মহানগর আওয়ামী লীগ। সমাবেশে নৌকা প্রতীক ও নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের পোস্টার নিয়ে হাজির হন কর্মীরা।মোশারফ হোসেন বলেন, ‘খালেদা জিয়া পাকিস্তানের দোসর। আজ দেশে স্লোগান উঠেছে, পাকিস্তানের খালেদা পাকিস্তানে চলে যা। বেগম জিয়া যতই চেষ্টা করুক নির্বাচন বানচাল করতে পারবে না।’নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী খালেদাকে উদ্দেশ করে বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় আপনি পাকিস্তানের দালালি করেছেন। আপনি পাকিস্তান চলে যান।সমাবেশে সভাপতি মহিউদ্দিন চৌধুরী বিএনপির নেতা আবদুল্লাহ আল নোমানকে উদ্দেশ করে বলেন, আপনাদের আন্দোলন করারহিম্মত নেই। পুলিশ পাহারায় একটি ছবি তুলে আন্দোলন শেষ আপনাদের।সমাবেশে চট্টগ্রাম-১১ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী এম এ লতিফ, সীতাকুণ্ড আসনের প্রার্থী দিদারুল আলম, চন্দনাইশের প্রার্থী নজরুল ইসলাম, বাঁশখালী আসনের প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান, চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালি) আসনের প্রার্থী জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু প্রমুখ বক্তব্য দেন। |
সংবিধানই একটি স্বাধীন দেশের বড় অর্জন বলে মন্তব্য করেছেন সংবিধান প্রণেতা ড. কামাল হোসেন। গতকাল শনিবার সকালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত ‘চট্টগ্রাম আইন সেবা কেন্দ্র ও জনসেবা প্রশিক্ষণ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।ড. কামাল হোসেন বলেন, আজকাল সংবিধানের কথা বলে নানা রকমের ছলচাতুরী হচ্ছে। এ সংবিধানে দেশের সব মানুষের চিন্তার স্বাধীনতা, বাক্স্বাধীনতা, ধর্মীয় স্বাধীনতাসহ সব মৌলিক অধিকার সংরক্ষণের কথা বলা হয়েছে। সংবিধান মতে আইনের চোখে সবাই সমান। বাংলাদেশ সংবিধানে সমতার কথা বলা থাকলেও দরিদ্র জনগোষ্ঠী আইনি সুরক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক আবদুল্লাহ আল ফারুকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আনোয়ারুল আজিম আরিফ, সহ-উপাচার্য অধ্যাপক ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী, ব্লাস্টের মেম্বার অব ট্রাস্টি অ্যাডভোকেট জেড আই খান, ব্লাস্টের চট্টগ্রাম অঞ্চলের সভাপতি অ্যাডভোকেট সুভাষ চন্দ্র লালা, কমিউনিটি অ্যান্ড লিগ্যাল সার্ভিসের পরিচালক লুৎফুল কবীর, আইন বিভাগের অধ্যাপক মহিউদ্দিন খালেদ প্রমুখ।একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে আপিল করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাংসদ সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরী। মৃত্যুদণ্ডাদেশ থেকে খালাস চেয়ে গতকাল মঙ্গলবার তাঁর পক্ষে আইনজীবী সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই আপিল দাখিল করেন। এর নম্বর ১২২/১৩।রাষ্ট্রপক্ষ জানিয়েছে, মুক্তিযুদ্ধকালের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এর দেওয়া ওই রায়ের বিরুদ্ধে তারা আপিল করছে না।ট্রাইব্যুনাল-১ মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ১ অক্টোবর সাকা চৌধুরীকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন। তাঁর বিরুদ্ধে আনা রাষ্ট্রপক্ষের ২৩টি অভিযোগের মধ্যে নয়টি প্রমাণিত হয়। ওই রায় ঘোষণার ২৮ দিনের মাথায় গতকাল আসামিপক্ষ আপিল করল। আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) আইনে রায়ের ৩০ দিনের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আপিল করার বিধান রয়েছে।এই নিয়ে দুটি ট্রাইব্যুনালের দেওয়া মানবতাবিরোধী অপরাধের আটটি মামলার রায়ের মধ্যে ছয়টিতে আসামিরা আপিল করলেন। এর মধ্যে জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল কাদের মোল্লার ক্ষেত্রে করা রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের আপিলের শুনানি শেষে গত ১৭ সেপ্টেম্বর রায়ে তাঁকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন আপিল বিভাগ। এখন পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের অপেক্ষায়। গত ৫ ফেব্রুয়ারি ট্রাইব্যুনাল-২ রায়ে কাদের মোল্লাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছিলেন।এ ছাড়া মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া জামায়াতের নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর রায়ের ক্ষেত্রে হওয়া আপিলের শুনানি শুরু হয়েছে। আগামী ১২ নভেম্বর পরবর্তী শুনানি হওয়ার কথা। বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টে অবকাশ চলছে। ২৮ ফেব্রুয়ারি ট্রাইব্যুনাল-১ সাঈদীকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন।সাকা চৌধুরীর আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, আপিল করা হয়েছে। যে চারটি অভিযোগে তাঁকে সর্বোচ্চ সাজা দেওয়া হয়েছে, সে ক্ষেত্রে শোনা সাক্ষীর ওপর নির্ভর করা হয়েছে। আইনিভাবে তা গ্রহণযোগ্য নয়।যেসব অপরাধে সাকা চৌধুরীকে সাজা দেওয়া হয়েছে, সেসব অপরাধ সংঘটনের সময় তিনি দেশে ছিলেন না দাবি করে খন্দকার মাহবুব বলেন, একাত্তরের ২৯ মার্চ থেকে তিনি ওই বছরের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত পাকিস্তানের পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত ছিলেন। সেখান থেকে তিনি লন্ডনে চলে যান। এমনকি অভিযোগের সপক্ষে ওই এলাকা থেকে পারিপার্শ্বিক কোনো সাক্ষীও আসেনি। আপিলে এসব যুক্তি তুলে ধরা হয়েছে।জানতে চাইলে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, আপিলে যে বক্তব্যই দিয়ে থাকুন না কেন, এ মামলায় যে সাক্ষী-সাবুদ হয়েছিল, এর ভিত্তিতে রায় ও সাজা হয়েছে। এখন আপিল বিভাগ দেখবেন আপিলে যেসব যুক্তি দিয়েছেন, সেগুলো সত্যিকার অর্থে গ্রহণ হবে কি না? কাজেই এখন অপেক্ষা করতে হবে আপিল বিভাগে শুনানির জন্য। রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করবে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা আপিল করার সিদ্ধান্ত নিইনি। ট্রাইব্যুনালের রায়ে সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়া হয়েছে। কাজেই সেই শাস্তিটা যাতে বহাল থাকে এবং ওই রায়ের সপক্ষেই আমরা আমাদের বক্তব্য পেশ করব।’ট্রাইব্যুনালের দেওয়া মৃত্যুদণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে জামায়াতের আরেক সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ কামারুজ্জামান, সাবেক আমির গোলাম আযমের ৯০ বছরের কারাদণ্ডাদেশের রায়ের বিরুদ্ধে উভয় পক্ষ এবং মৃত্যুদণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে দলটির সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ আপিল করেছেন। মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার প্রথম রায়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া জামায়াতের সাবেক সদস্য (রুকন) পলাতক আবুল কালাম আযাদ আপিল করেননি। মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার সর্বশেষ রায়ে ৯ অক্টোবর বিএনপির নেতা ও সাবেক মন্ত্রী আবদুল আলীমকে আমৃত্যু কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে বলে জানিয়েছে আসামিপক্ষ।টানা চার বছর ধান চাষ করে লোকসান দেওয়ার পর এবার রংপুরের বদরগঞ্জ ও তারাগঞ্জ উপজেলার কৃষকদের মুখে হাসি ফুটেছে। চলতি আমন মৌসুমের শুরুতে প্রতি মণ (২৮ কেজি) মোটা জাতের ধান বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৫২০ থেকে ৫৪০ টাকায়। কৃষকেরা জানান, এই দামে ধান বিক্রি করে তাঁরা লাভের মুখ দেখছেন।কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, বদরগঞ্জ ও তারাগঞ্জ উপজেলায় এবার প্রায় ২৮ হাজার হেক্টর জমিতে আমনের চাষ হয়েছে। তারাগঞ্জের শিকারপাড়া গ্রামের কৃষক ফজলুল হক বলেন, ‘চাইর বছর থাকি ধান চাষ করি লস খাওচি। এইবার ভালোয় লাভ হওচে। এইবারনি এক মণ ধান বেচা হওচে ৫৩০ টাকায়। অ্যাংকা দাম থাকলেই হয়। এর বেশি দরকার নাই। গত চাইর বছর সেই ধান বেচাচি মণ পোরতি ২৫০ থাকি ৩২০ টাকায়।’বদরগঞ্জের মৌয়াগাছ গ্রামের কৃষক বিরেন্দ্র নাথ রায় বলেন, এবার ৩৩ শতক জমিতে আমন ধান চাষ করতে তাঁর খরচ হয়েছে মোট পাঁচ হাজার ২০০ টাকা। ধান পেয়েছেন ২২ মণ। তিনি প্রতি মণ ধান ৫৩০ টাকা করে বিক্রি করে মোট ১১ হাজার ৬৬০ টাকা পেয়েছেন। আর ধানের খড় বিক্রি করে পেয়েছেন এক হাজার টাকা। খরচ বাদে তাঁর লাভ হয়েছে সাত হাজার ৪৬০ টাকা। তিনি বলেন, ‘চাইর বছর পর কেষক এবার ধান আবাদ করি লাভ পায়া হাসোচে। এই দামটা থাকলে কেষক ভালো থাকপে।’বদরগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জিয়াউল হক বলেন, এবার এলাকায় বন্যা হয়নি। সঠিক সময়ে প্রয়োজনীয় বৃষ্টিপাত হওয়ায় আমনের বাম্পার ফলন হয়েছে। ধানের দামও ভালো।তারাগঞ্জের উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সমীর চন্দ্র ঘোষ বলেন, এবার ফলন ভালো হওয়ায় এবং দামও বেশি পাওয়ায় তাঁদের মুখে হাসি ফুটেছে।কুমিল্লা বোর্ডের অধীন জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষার ফলাফলে সেরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তালিকায় ফেনী গার্লস ক্যাডেট কলেজ চতুর্থ স্থানে রয়েছে। সেরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তালিকায় ফেনী সরকারি পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের অবস্থান সপ্তম স্থানে। আর ফেনী সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের অবস্থান অষ্টম।ফেনী গালর্স ক্যাডেট কলেজের অধ্যক্ষ মো. মোখলেছুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ক্যাডেটের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ও কঠোর পরিশ্রম, অনুষদ সদস্যদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে শিক্ষাদান এবং অভিভাবকদের অনুপ্রেরণা এ ফলাফল অর্জনে সহায়ক হয়েছে।ফেনী সরকারি পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হোসনে আরা বেগম বলেন, শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের ঐকান্তিক চেষ্টায় বরাবরের মতো এবারও তাঁদের ছাত্ররা ভালো ফল করেছে। |
চট্টগ্রামে জলাতঙ্ক রোগী দিন দিন বাড়ছে। আগে যেখানে দিনে তিন-চারজন রোগী পাওয়া যেত, এখন সেখানে প্রতিদিন ৩৫ থেকে ৪০ জন রোগীও আসছে। বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবস উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য প্রকাশ করা হয়।গতকাল শনিবার সকালে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে জলাতঙ্ক নিয়ে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন মোহাম্মদ নুরুল হায়দার। এ সময় উপসিভিল সার্জন রফিক উদ্দিন, এইচ এম আহসানুল হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, জলাতঙ্ক ভাইরাস বহনকারী কুকুরের কামড় বিপজ্জনক। এ নিয়ে সচেতনতার অভাব রয়েছে। গ্রামগঞ্জে এখনো কুকুরের কামড়ের পর ঝাড়ফুঁক দিয়ে চিকিৎসা চলে। এতে করে রোগী মৃত্যুর মুখে পতিত হয়। জলাতঙ্ক রোগে মৃত্যুর সঠিক পরিসংখ্যানও অনেক সময় পাওয়া যায় না।সংবাদ সম্মেলনে নুরুল হায়দার বলেন, আগে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে দৈনিক তিন-চারজন কুকুরে কামড়ানো রোগী আসত। এখন এই সংখ্যা বেড়ে ৪০ পর্যন্ত হচ্ছে। আগের চেয়ে কিছুটা সচেতনতা বাড়ার কারণে এই সংখ্যা বাড়তে পারে।খেলনা ভেবে লাল টেপ মোড়ানো ককটেলটি হাতে তুলে নিল শিশু রহিমা আক্তার (৯)। টেপ খুলতে গেলে সেটি বিস্ফোরিত হয়। চোখসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে স্প্লিন্টার বিদ্ধ হয় রহিমার। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, রহিমার ডান চোখে আর দেখার সম্ভাবনা নেই।গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর পশ্চিম জুরাইনে বাসার পাশে বালুর মাঠে খেলতে গিয়ে ছোট্ট রহিমার জীবনে এই দুর্দশা নেমে আসে।শুধু রহিমাই নয়, গত শনিবার থেকে গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত রাজধানীতে তিন শতাধিক স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় সাংবাদিক, পুলিশ কর্মকর্তাসহ আহত অন্তত ২২ জন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন এবং নিচ্ছেন। আহতদের অধিকাংশই হতদরিদ্র বলে জানিয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্র।গত শনিবার রাজধানীর দয়াগঞ্জ এলাকায় ককটেল বিস্ফোরণে আহত হন ফলবিক্রেতা সিরাজুল ইসলাম। একই দিন মোহাম্মদপুরের ঢাকা উদ্যান এলাকায় হরতালকারীদের ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের সময় আহত হন লেগুনাচালক জানে আলম। বাসাবোর কদমতলায় ককটেল বিস্ফোরণে আহত হন আলাল হোসেন নামের এক সিএনজি অটোরিকশাচালক। একই এলাকায় বাসে অগ্নিসংযোগে আহত হন নাসিমা আক্তার ও রেশমা নামের দুই পোশাককর্মী। দয়াগঞ্জ মোড়ে আবদুর রহমান নামের এক ঠিকাদার ককটেল বিস্ফোরণে আহত হন। গত রোববার ককটেল বিস্ফোরণে আহত হন জিকরুল হক নামের এক রিকশাচালক। এঁদের মধ্যে নাসিমা, সিরাজুল, জানে আলম ও আলাল হোসেন ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি আছেন।চোখ হারাল ছোট্ট রহিমা: আহত রহিমার মা সোমা আক্তার প্রথম আলোকে বলেন, পশ্চিম জুরাইনে চার সন্তান ও স্বামী নিয়ে থাকেন তিনি। সন্তানদের মধ্যে রহিমা দ্বিতীয়। সে স্থানীয় একটি স্কুলের প্রথম শ্রেণীতে পড়ে। গতকাল বেলা পৌনে ১১টার দিকে বাসার সামনে বালুর মাঠে কয়েকজন শিশুর সঙ্গে খেলছিল রহিমা। সেখানেই একটি সিমেন্টের পরিত্যক্ত বস্তার নিচে লাল টেপ মোড়ানো ‘বস্তুটি’ দেখতে পেয়ে সে কুড়িয়ে নেয়। তারপর এ ঘটনা। রক্তাক্ত অবস্থায় রহিমাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।হাসপাতালের চক্ষু বিভাগের সহকারী রেজিস্ট্রার আল মাহমুদ প্রথম আলোকে বলেন, শিশুটির দুই চোখই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বেশি হয়েছে ডান চোখ। স্প্লিন্টারের আঘাতে ডান চোখের ভেতরে ফেটে গেছে। ওই চোখ দিয়ে দেখার সম্ভাবনা খুব কম।রহিমার মা কাঁদতে কাঁদতে প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর স্বামী সোবহান মোল্লা আগে অটোরিকশা চালালেও বর্তমানে তেমন কিছুই করেন না। তিনি আগে বাসাবাড়িতে কাজ করলেও শারীরিক অসুস্থতার কারণে এখন করতে পারেন না। মা-বোনদের আর্থিক সহায়তায় চলে তাঁর পরিবার।ঝলসে গেছে পুরো শরীর: রহিমার মায়ের মতো একই দুশ্চিন্তায় আছে অটোরিকশাচালক আইয়ুব আলীর পরিবার। গত রোববার রাতে রাজধানীর শাহজাহানপুরে দুর্বৃত্তদের ছোড়া পেট্রল বোমায় ঝলসে যায় তাঁর পুরো শরীর। তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।আইয়ুবের স্ত্রী পারুল আক্তার প্রথম আলোকে বলেন, ‘এই কয়েক দিন অটোরিকশার মালিক খরচাপাতি দিছিল। গতকাল তিনি আর আসেন নাই। এখন তারে (আইয়ুব) কী করব, কোথায় যাব বুঝতে পারতেছি না।’আবদুর রহমানের চোখে অস্ত্রোপচার: পুরান ঢাকার রায়সাহেব বাজার মোড়ে ককটেল বিস্ফোরণে গত সোমবার চোখে আঘাত পেয়েছিলেন আবদুর রহমান। আগারগাঁওয়ের চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে গতকাল তাঁর অস্ত্রোপচার হয়েছে।আবদুর রহমানের ভাই রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ডাক্তার আমারে কইছে, আবদুর রহমানের বাম চোখডা নষ্ট হইয়া গেছে। আবদুর রহমান সব সময় কান্নাকাটি করতাছে। আমি মনের মধ্যে কথাডা চাপাইয়া রাখছি। কাউরে বলি নাই।’রফিকুল বলেন, ‘পরিচিত কয়েকজন ৫০০, ২০০ করে টাকা দিছে। তা দিয়ে এত দিন ওষুধের খরচাপাতি দিছি। হাসপাতালের একজনরে জিগাইছি, টোটাল কয় টাকা লাগব। তিনি সাত হাজার টাকার কথা বলছেন। ভাই, টাকাডা এখনো জোগাড় করতে পারি নাই।’লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার পাটগ্রাম আদর্শ ডিগ্রি কলেজে দুটি বিষয়ে স্নাতক (সমঞ্চান) কোর্স চালু হয়েছে। বিষয় দুটি হলো রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও বাংলা।কলেজ সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে স্নাতক (সমঞ্চান) প্রথম বর্ষে বাংলা ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ে ৫০ জন করে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। এরই মধ্যে অনলাইনে ভর্তির আবেদনের ফরম পূরণ শুরু হয়েছে।শিক্ষার্থী বশিরুল বলেন, ‘আদর্শ ডিগ্রি কলেজে এই কোর্স চালু হওয়ায় আমরা খুবই খুশি। এটা আমাদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল। এখন থেকে এই অঞ্চলের গরিব মেধাবী শিক্ষার্থীদের আর জেলা শহরে বা অন্য কোথাও গিয়ে অনার্স পড়তে হবে না। তবে অন্য বিষয়গুলোতে অনার্স চালুর অনুমোদনের প্রয়োজন।’কলেজের অধ্যক্ষ শাহ্ নূর-উন-নবী কামাল বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সমঞ্চান) কোর্সে দুটি বিষয়ের অনুমোদন দিয়েছে। তিনি আরও নতুন বিষয়ে এই কোর্স চালুর আবেদন জানিয়েছেন।২০০৯ আইপিএলে চিয়ারলিডার ছিলেন জ্যানিন ক্যালিস। ঠিকই ধরেছেন, জ্যানিন জ্যাক ক্যালিসের ছোট বোন। |
‘আমাদের জয়কে যখন কেউ অঘটন বলে, খুব খারাপ লাগে। একটি-দুটি ম্যাচ হলে কথা ছিল, বারবার নামী-দামি সব দলকে হারানো মানে আমরা যোগ্য বলেই জিতে চলেছি’—মিজানুর রহমানের কণ্ঠে একই সঙ্গে গর্ব আর ক্ষোভমাখা উচ্চারণ। মোহামেডানের কাছে হেরে লিগ শুরু, পরে শুরু তাদের জয়ের মিছিল। আবাহনী, শেখ জামাল, প্রাইম ব্যাংককে হারানোর পর কাল গাজী ট্যাংকের বিপক্ষে জয়। কাগজ-কলমের হিসাবেই প্রাইম দোলেশ্বরের একেকটি জয়কে বলা হচ্ছিল অঘটন। কিন্তু দলের কোচের দাবিমতো অঘটন বলার যে জো নেই, সেটার প্রমাণ পয়েন্ট টেবিল। ৫ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে দোলেশ্বরই এখন পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে!তবে অঘটন না হোক, দোলেশ্বরের কালকের জয়কে অবিশ্বাস্যই বলতে হবে। দুপুরে বৃষ্টি-বাধায় যখন বন্ধ হলো খেলা, ২১২ রান তাড়ায় গাজীর রান তখন ৩১ ওভারে ৩ উইকেটে ১১৫। খেলা আর না হলে ডাকওয়ার্থ-লুইসে জিতে যায় গাজী। শেষ বিকেলে যখন ফের শুরু হলো খেলা, তখনো গাজীর জয়কে মনে হচ্ছিল আনুষ্ঠানিকতা। ৩০ বলে প্রয়োজন ছিল ৩১ রান, হাতে ৭ উইকেট। কিন্তু দোলেশ্বরের যাত্রা যে এখন দোলায় চড়ে! এই ম্যাচটাও জিতে নিল তারা ৩ রানে। এই দলের কাছে এখন যেন অসম্ভব বলে কিছু নেই। ম্যাচ শেষে অধিনায়ক ফরহাদ রেজাও বলছিলেন, ‘ম্যাচটা ওদের হাতেই ছিল। কিন্তু আমরা যেমন খেলছি, বিশ্বাস ছিল কিছু একটা হয়েও যেতে পারে। তাই একটুও হাল ছাড়িনি আমরা।’কাল শেষ বিকেলের নায়ক এই ফরহাদই। চোটের কারণে এই ম্যাচটি যাঁর খেলারই কথা ছিল না। কোচ আর সতীর্থরা সাহস জোগানোয় শেষ পর্যন্ত নামলেন, দলকে জিতিয়ে হলেন ম্যাচসেরা। চোটের কারণেই কাল বোলিং করতে চাননি। কিন্তু বৃষ্টিতে ওভার কমে যাওয়ায় মূল বোলারদের ওভার শেষ হয়ে গেলে বোলিংয়ে আসেন সাত নম্বরে। বৃষ্টির পর ওই পাঁচ ওভারের তিনটিই করে ১৮ রান দিয়ে নেন তিন উইকেট। এর মধ্যে ছিল মহাগুরুত্বপূর্ণ শেষ ওভারটিও। গাজীর প্রয়োজন ছিল ১২, দুটি উইকেট নিয়ে ফরহাদ দিয়েছেন ৮ রান। স্টাইরিসকে স্টাম্পড করে দোলেশ্বরকে সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত উইকেটটি এনে দিয়েছেন অবশ্য খণ্ডকালীন মমিনুল। দুর্দান্ত এক ওভারে রকিবুল ও হামিদুলকে বোল্ড করার পাশাপাশি মাত্র ৩ রান দেন সোহাগ গাজী। পরে ফরহাদের হাত ধরে জয়।দোলেশ্বর অধিনায়ক দলের এই স্বপ্নযাত্রার নেপথ্য কারিগর বললেন কোচকে, ‘দলের কোনো সিদ্ধান্তে কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ নেই। দল নিয়ে কোচের কথাই চূড়ান্ত, তিনিই আমাদের ডন! সবাইকে উদ্বুদ্ধ করার দারুণ ক্ষমতা আছে তাঁর। দলে কোনো বড় তারকা না থাকুক, আমাদের শক্তি দুর্দান্ত টিম স্পিরিট।’টিম স্পিরিটের জয়গান কোচ মিজানুর রহমানের কণ্ঠেও, ‘বছর দুয়েক আগে কাগজে-কলমে অনেক দুর্বল দল নিয়েও আমি ডিওএইচএসকে লিগে তৃতীয় বানিয়েছিলাম। আমি তারকায় বিশ্বাসী নই। বিশ্বাস করি তারুণ্যে, যাদের উদ্বুদ্ধ করা যায়। এবারও আমার হয়তো বড় কোনো তারকা নেই, কিন্তু আছে একটা দল। যারা সত্যিকার অর্থেই মাঠে একটা দল হিসেবে খেলে। অসাধারণ টিম স্পিরিটই আমাদের সাফল্যের মূল রহস্য।’এই টিম স্পিরিট কোথায় নিয়ে যাবে দোলেশ্বরকে? মিজানুরের দৃষ্টি আপাতত সুপার লিগে। তবে এভাবে খেলতে থাকলে নিশ্চিত ধরা দেবে আরও বড় প্রাপ্তি!সং ক্ষি প্ত স্কো র মোহামেডান-প্রাইম ব্যাংক, বিকেএসপিমোহামেডান: ৫০ ওভারে ১৭৩ (জুপিটার ২৪, দিলশান ২৮, শামসুর ১৬, থারাঙ্গা ১২, রাজিন ২১, ধীমান ১০, এজাজ ৩, মাশরাফি ৩, মুক্তার ৩০, সাকলাইন ১৪, মেন্ডিস ০*; তাপস বৈশ্য ২/৩৯, রহমান ১/২৮, জিয়াউর ৩/২৪, এনামুল জু. ২/৩২, ফরিদউদ্দিন ১/১৯, তায়েবুর ০/১৮, রেজাউল ১/১১)। প্রাইম ব্যাংক: ৪৭.৪ ওভারে ১৭৪/৮ (সৈকত ১৭, জিয়াউর ১৪, রাজাপক্ষে ০, টেলর ২০, , থিরিমান্নে ২, তায়েবুর ৩৮, রেজাউল ৪১, ফরিদউদ্দিন ১২, তাপস বৈশ্য ৮*, এনামুল জু. ১*; মাশরাফি ০/৪৮, সাকলাইন ৩/২৪, মেন্ডিস ২/৩৩, দিলশান ১/২৬, রাজিন ০/১৬, মুক্তার ২/২১, শামসুর ০/৫)।ফল: প্রাইম ব্যাংক ২ উইকেটে জয়ী।ম্যান অব দ্য ম্যাচ: রেজাউল করিম (প্রাইম ব্যাংক)। গাজী ট্যাংক-প্রাইম দোলেশ্বর, মিরপুরপ্রাইম দোলেশ্বর: ৫০ ওভারে ২১১/৯ (মেহেদী ৬০, রনি ৭, সাব্বির ৭, মমিনুল ৩৪, সিলভা ৬৫, ফরহাদ রেজা ৮, সাম্পাথ ১৫, ফার্নান্ডো ৫, সোহাগ ২, আরমান ০*, তাইজুল ০*; রুবেল ৪/৫৩, শহীদ ০/২৮, আরাফাত ২/২৯, মাহমুদউল্লাহ ২/৪৬, নাঈম জু. ০/৩৬, উসমান ০/১৫)। গাজী ট্যাংক (লক্ষ্য ৩৬ ওভারে ১৪৬): ৩৬ ওভারে ১৪২/৯ (ইমরুল ১৩, উসমান ২৫, রিয়াজুল ২, স্টাইরিস ৪০, মাহমুদউল্লাহ ৩১, রকিবুল ৫, হামিদুল ৪, শহীদ ২, নাঈম জু. ৬, রুবেল ১*, আরাফাত ১*; সোহাগ ২/১৬, ফার্নান্ডো ২/২৬, সাম্পাথ ০/২৮, তাইজুল ১/৩৩, সাব্বির ০/৪, মমিনুল ১/১২, ফরহাদ রেজা ৩/১৮)।ফল: প্রাইম দোলেশ্বর ৩ রানে জয়ী (ডি/এল পদ্ধতিতে)।ম্যান অব দ্য ম্যাচ: ফরহাদ রেজা (প্রাইম দোলেশ্বর)। ভিক্টোরিয়া-সিসিএস, ফতুল্লাসিসিএস: ৫০ ওভারে ২১৭/৮ (নুরুল ০, উত্তম ৫, বুদ্দিকা ৩৬, সালমান ৫২, রুপাসিংহে ২৭, আসিফ ২২, মাহারুফ ৪২, মিলন ১৬, কামরুল ৯*, বিশ্বনাথ ১*; শরীফ ২/৩৬, মনির ৩/৩৪, নাসির ১/৩৩, বীরাকুন ০/৩০, এনামুল ০/২২, সিরিবর্দানা ১/৩৮, করুনানায়েকে ১/২১)। ভিক্টোরিয়া: ৪৮.৪ ওভারে ২১৯/৭ (সৌম্য ৪, এনামুল (বিজয়) ১৪, মাইশুকুর ৪, করুনানায়েকে ৩১, নাসির ৭৭, সিরিবর্দানা ২৫, জুবায়ের ৪০*, শরীফ ০, এনামুল ১১*; আসিফ ৩/৩৬, বিশ্বনাথ ০/২৯, মাহারুফ ১/৪৫, কামরুল ২/৪৯, রেফাতুজ্জামান ০/২৫, বুদ্দিকা ১/৩১)।ফল: ভিক্টোরিয়া ৩ উইকেটে জয়ী।ম্যান অব দ্য ম্যাচ: নাসির হোসেন (ভিক্টোরিয়া)।আরও অনেকের মতোই আমারও বাংলাদেশের তরুণসমাজকে মূল্যায়ন করার ব্যাপারে কিছু গড়বড় ছিল। ফেসবুকে দেখতাম, বেশির ভাগ তরুণের প্রোফাইলে পলিটিক্যাল ভিউস ঘরে লেখা, ‘আমি রাজনীতি ঘৃণা করি’। দেখতাম, কোনো সামাজিক বা রাজনৈতিক বিষয়ের চেয়ে রনবীর কাপুরের চুলের স্টাইল নিয়ে তারা বেশি আগ্রহী। শুনতাম, তারা বাংলা, ইংরেজি মিশিয়ে অদ্ভুত এক ভাষায় কথা বলছে। জটিলকে বড় করে বলছে জটিল আবার জিজ্ঞেসকে ছোট করে বলছে জিগু। বুঝতাম না, ওরা কীভাবে চিন্তা করে এবং যেকোনো অবুঝ মানুষের মতো ধরেই নিতাম যে ওরা চিন্তাই করে না।বিভিন্ন ঘটনার কারণে গত এক বছরে আমার সেই ভুল ভাঙল। তার মধ্যে কিছু ঘটনা অনেক বড় আবার কিছু ঘটনা ঘরোয়া অথবা দাপ্তরিক। রানা প্লাজার দুর্ঘটনার পর দেখলাম এই তরুণসমাজ গিয়ে দিনের পর দিন অধরচন্দ্র বিদ্যালয়ের মাঠে আনা লাশ নিয়ে কাজ করছে। যেখানে আধা ঘণ্টা থেকে গন্ধে আমার বমি হয়ে যাওয়ার জোগাড়, রাতে ঘুম শেষ—সেখানে দেখলাম কলেজপড়ুয়ারা দিনের পর দিন মৃতদেহ নিয়ে কাজ করছে, মৃত ব্যক্তিদের পরিবার খুঁজতে নিজেদের ঘুম নষ্ট করে ফেলছে।আমি একটি বিজ্ঞাপনী সংস্থায় কাজ করি। তরুণদের আকৃষ্ট করার ব্যাপারে আমরা এখন খুব আগ্রহী। এই লক্ষ্যে একটার পর একটা হালকা মেজাজের বিজ্ঞাপন বানিয়েই যাচ্ছি। কোনো দৃঢ় আবেগ দেখাতে হলেই বুড়াদের নিয়ে গল্প ভাবি। আসল আবেগের জায়গা থেকে কেউ ‘জটিল’ ভাবে ‘বিলা’ খেতে পারে এটা আমরা ভাবতেই পারি না। দেশকে নিয়ে কেউ ‘প্যাড়া’ খেতে পারে, সমাজকে নিয়ে ‘পেইন’ পেতে পারে এই উপলব্ধি আমাদের বুড়াদের মধ্যে প্রায় শূন্য। আমরা খুব আরামের সঙ্গে ধরে নিয়েছি যে এমটিভি স্টাইলে কথা বলে দেখে তরুণদের পুরা জীবনটাই একটা মিউজিক ভিডিও।বুড়ারা কী ভাবছে, তাতে কী আসে যায়? হয়তোবা অনেক কিছু। সমাজ হিসেবে আমরা এখনো অনেক ট্র্যাডিশনাল। বড়রা আমাদের কী মনে করে, এটা আমাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মা-বাবা ভালো বললে আমরা বল পাই, আত্মবিশ্বাস পাই। খারাপ বললে নিজেদের দোষী মনে হয়, ক্ষুদ্র মনে হয়। আত্মবিশ্বাসের সংকট হয়তো আমাদের তরুণসমাজের সবচেয়ে বড় সমস্যা। দিনের পর দিন যদি তাদের আমরা ছোট করতে থাকি, তাহলে আর কি আশা করা যায়? ওদের নিজস্ব ভাষা, পোশাক-আশাক এসব নিয়ে বেশি গবেষণা না করে, ওদের অভাবনীয় সম্ভাবনার ওপর যদি আমরা মনোনিবেশ করতে পারি, তাহলে আমাদের তরুণসমাজ আরও অনেক ভালো কিছু করবে, যা আমরা কল্পনাও করতে পারি না। এটা আমার বিশ্বাস।যে মানুষটা দিনের পর দিন চল্লিশের সঙ্গে ঠেলাঠেলি করে যাচ্ছেন, তাঁর তারুণ্য নিয়ে লেখার কতটা যোগ্যতা আছে আমার সন্দেহ। তার পরও মাস্কারা দিয়ে দাড়ি কালো করে তরুণদের সঙ্গে টেলিভিশনে প্রেম এবং বন্ধুত্বের অভিনয় করি বলেই হয়তো আমাকে এ বিষয়ে লিখতে বলা হয়েছে। সে কারণে আমি যারপরনাই ধন্য। কোনো ভ্রমের জন্য তরুণসমাজের কাছে আগেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়নের ধলাগাছ গ্রামের ফাইলেরিয়া হাসপাতাল সড়কে গত বুধবার রাতে ডাকাতের কবলে পড়ে মনোয়ার হোসেন (৩২) নামে এক স্বর্ণ ব্যবসায়ী আহত হয়েছেন।ডাকাতেরা তাঁর মোটরসাইকেলসহ সঙ্গে থাকা স্বর্ণ ও নগদ টাকা লুট করে। তবে পালিয়ে যাওয়ার পথে এক ডাকাত পুলিশের হাতে ধরা পড়ে।পুলিশ জানায়, রাত তিনটার দিকে ধলাগাছ গ্রামের একজন বাসিন্দা মুঠোফোনে থানায় খবর দেন। পরে টহল পুলিশ ঘটনাস্থলে যাওয়ার পথে ওই গ্রাম থেকে প্রায় আট কিলোমিটার দূরে সাইশমল্লার মোড়ে চারজনকে মোটরসাইকেলে করে যেতে দেখে ধাওয়া করে। এ সময় এক ডাকাতকে আটক করতে সক্ষম হয় পুলিশ।পেশাদার ফুটবল লিগ শুরু হতে না হতেই পড়ে গেল রাজনৈতিক অস্থিরতার পাকে। গতকাল বিরোধী দলের ‘গণতন্ত্র অভিযাত্রা’ কর্মসূচির কারণে প্রিমিয়ার ফুটবল লিগের খেলা হয়নি। একই কর্মসূচি জারি থাকায় আজও খেলা হচ্ছে না। রাজনৈতিক দৃশ্যপটে সুসংবাদ না মিললে দেশের শীর্ষ ফুটবল লিগ কদিন বন্ধ থাকে কে জানে!গত ২৭ ডিসেম্বর লিগ শুরু হয়ে দুটি ম্যাচ হয়েছে। প্রথম দিন শেখ রাসেল-উত্তর বারিধারা, পরদিন শেখ জামাল-চট্টগ্রাম আবাহনী ম্যাচ ভালোয় ভালোয় মাঠে গড়িয়েছে। গতকাল আবাহনী-ব্রাদার্স ম্যাচটি স্থগিত রেখে আজ তা আয়োজন করতে চেয়েছিল বাফুফে। একই সঙ্গে আজকের নির্ধারিত বিজেএমসি-সকার ম্যাচটিও রাখা হয়েছে আজ সূচিতে। কিন্তু বিরোধী দলের কর্মসূচির কারণে পুলিশ প্রশাসন বাফুফেকে জানিয়ে দিয়েছে, মাঠে (বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম) পুলিশ দেওয়া যাবে না। বাফুফে অন্তত ২০-২৫ জন পুলিশ চাইলেও পুলিশ প্রশাসন পাঁচজন দিতেও অপারগতা প্রকাশ করেছে।পুলিশ পাওয়া গেলে আজকের ম্যাচ দুটি আগামীকাল আয়োজন করতে চায় বাফুফে। কিন্তু বিরোধী দলের কর্মসূচির গতি-প্রকৃতি যা, তাতে আগামীকালও কর্মসূচি থাকলে খেলা না-ও হতে পারে। কারণ, পুলিশ ব্যস্ত থাকবে রাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়েই। বাফুফে অবশ্য বলছে, তারা কোনোভাবেই খেলা স্থগিত করবে না। মাঠে নিরাপত্তার জন্য পুলিশ পেলেই খেলা হবে। দলগুলোও খেলতে প্রস্তুত। ২১ ডিসেম্বর কমলাপুর স্টেডিয়ামে শুরু হওয়া দ্বিতীয় বিভাগ ফুটবলেও রাজনৈতিক অশান্তির ধাক্কা লেগেছে। ওখানেও পুলিশি নিরাপত্তার প্রয়োজন। গতকাল দ্বিতীয় বিভাগের সূচিতে খেলা ছিল না। তবে বিরোধী দলের কর্মসূচির বৃত্তে আটকে আজ দ্বিতীয় বিভাগের খেলাও বন্ধ থাকছে। প্রিমিয়ার লিগের মতো দ্বিতীয় বিভাগে বেশি পুলিশের প্রয়োজন হয় না, তাই আগামীকাল থেকে এই লিগ ফের শুরু আশা করছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। বাফুফে শুধু আশাই করতে পারে, সব কিছুই নির্ভর করছে রাজনৈতিক পরিস্থিতির ওপর! |
সীতাকুণ্ডের কুমিরায় আন্তর্জাতিক ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের কুমিরা ক্যাম্পাসের ছাত্ররা ১২ দফা দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন। এ সময় সব বিভাগের ছাত্ররা ক্লাস বর্জন করে মাঠে স্লোগান দিতে থাকেন।বেশ কয়েকজন শিক্ষক উত্তেজিত ছাত্রদের শান্ত করার চেষ্টা করলে ছাত্ররা তাঁদের সঙ্গে বাগিবতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। পরে দাবিগুলো দ্রুত বাস্তবায়নের আশ্বাস দিলে ছাত্ররা তাঁদের আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেন। গতকাল শনিবার সকাল ১০দিকে এ আন্দোলন শুরু হয়।আইন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র রিপন মুসলিম বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের ভেতরে বিশুদ্ধ পানির বড় সমস্যা। এ ছাড়া বেশ কয়েকটি ফি বাড়ানো হয়েছে, যা আমাদের পক্ষে অসুবিধা সৃষ্টি করছে। অযৌক্তিক বর্ধিত ফি প্রত্যাহারসহ ১২ দফা দাবি করেছি। যদি আগামীকালের (আজ) মধ্যে মেনে নেওয়া না হয়, আন্দোলন করে আদায় করা হবে।’কুমিরা ক্যাম্পাসের প্রধান দেলোয়ার হোসাইন বলেন, ‘টিউশন ফি বেড়েছে কি না, আমি বলতে পারব না। হিসাব বিভাগ ভালো বলতে পারবে। তবে বাকি দাবিগুলো মেনে নেওয়ার মতো। পর্যায়ক্রমে দ্রুত বাস্তবায়ন করা হবে।’পিলখানা হত্যা মামলার রায় আজ বুধবার হচ্ছে না। মামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আইনজীবীরা জানিয়েছেন, আদালতের প্রস্তুতি শেষ না হওয়ার কারণে রায় হচ্ছে না। তবে গতকাল মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত আদালত থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি।জানতে চাইলে রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান আইনজীবী আনিসুল হক প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি শুনেছি, রায় লেখা শেষ না হওয়ায় কাল রায় হচ্ছে না।’আসামিপক্ষের আইনজীবী ফারুক আহমেদ প্রথম আলোকে জানান, আদালত থেকে তাঁরা জানতে পেরেছেন, রায় প্রকাশ করা হচ্ছে না। আজ আদালত বসে নতুন সময় ঘোষণা হতে পারে।তবে একাধিক সূত্র জানায়, রায়ের দিন ঠিক থাকলেও নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে বিপুলসংখ্যক আসামিকে আনা-নেওয়ার প্রস্তুতি নিয়ে সংশয় দেখা দেয়।২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় বিদ্রোহের সময় বিদ্রোহী বিডিআর সদস্যদের হাতে বাহিনীর সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদ, ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন। এ ঘটনায় ৮৫০ জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দেয় সিআইডি। এর মধ্যে নাসির উদ্দীন আহম্মেদ পিন্টুসহ ২৩ জন বেসামরিক ব্যক্তিও রয়েছেন। মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে মোট এক হাজার ৩৩৩ জনকে সাক্ষী করা হলেও তদন্ত কর্মকর্তাসহ ৬৫৪ জনের সাক্ষ্য ও জেরার মধ্য দিয়ে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। এসব সাক্ষী ৭৮৩ জন আসামির বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ পর্যন্ত মামলা ২৩২ কার্যদিবস অতিক্রম করেছে।কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী সীমান্তে চাঁদা না পেয়ে দুই গরু ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে আহত করেছে সন্ত্রাসীরা। গতকাল বৃহস্পতিবার ভোরে এ ঘটনা ঘটে।অভিযোগে জানা যায়, উপজেলার শিলখুড়ি ইউনিয়নের উত্তর তিলাই সীমান্তে গতকাল ভোরে উত্তর তিলাই গ্রামের আনোয়ার হোসেন (৩০) ও রমজান আলী (২৪) গরু আনতে যান। এ সময় বিজিবি ধলডাঙ্গা ক্যাম্পের সোর্স পরিচয়দানকারী মজিবর, সাইদুর ও শাহআলম নামে তিন সন্ত্রাসী গরুপ্রতি ৫০০ টাকা চাঁদা দাবি করে। তাঁরা চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে ধারালো অস্ত্র দিয়ে দুই গরু ব্যবসায়ীকে মারাত্মক জখম করা হয়।পরে এলাকাবাসী তাঁদের ভুরুঙ্গামারী হাসপাতালে ভর্তি করেন।ঘন কুয়াশার কারণে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া ও মাওয়া-কাওড়াকান্দি নৌপথে গত শনিবার দিবাগত রাত ১০টা থেকে গতকাল রোববার সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল। দুই নৌপথে মাঝনদীতে যানবাহন ও যাত্রী নিয়ে আটকা পড়ে ১২টি ফেরি। দীর্ঘ সময় ফেরি বন্ধের কারণে এসব ঘাটে প্রায় এক হাজার ২০০ যানবাহন আটকা পড়ে। |
যশোরের চৌগাছা উপজেলায় আওয়ামী লীগের ডাকা অনির্দিষ্টকালের হরতাল গতকাল শনিবার দুপুরে প্রত্যাহার করা হয়েছে। উপজেলার সিংহঝুলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমানকে (৪৫) গুলি করে হত্যার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে গত শুক্রবার ভোর ছয়টা থেকে ওই হরতাল চলছিল।জানা গেছে, গতকাল দুপুরে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের বিক্ষোভ মিছিল শেষে অপরাধীদের গ্রেপ্তারে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়ে হরতাল প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহজাহান কবির। এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ মিত্র প্রথম আলোকে বলেন, অপরাধীদের গ্রেপ্তারে যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরিফুজ্জামানের আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশকে ৪৮ ঘণ্টা সময় দিয়ে হরতাল প্রত্যাহার করা হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে হত্যার সঙ্গে জড়িত প্রকৃত অপরাধীদের গ্রেপ্তার করা না হলে আবারও হরতালসহ কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।গত বৃহস্পতিবার দুপুরে চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমানকে গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।‘আমি কিছু করিনি, আমি দোষী না। পুলিশ ভাই, আপনারা আমাকে ছেড়ে দ্যান।’ পুলিশের কাছে নয় বছরের শিশু তানজিলুর রহমানের এই আকুতি শুনে অনেকে থানায় ছুটে গেলেও শিশুটিকে মুক্ত করা যায়নি। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দিয়ে পুলিশ শিশুটিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে। তানজিলের বাড়ি মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার কাথুলী ইউনিয়নের রংমহল গ্রামে। সে রংমহল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র। থানাহাজতে তানজিল জানায়, মায়ের কথামতো গত সোমবার বিকেলে ব্যাগে দুই কেজি চাল নিয়ে সে বোনের বাড়ি গাড়াবাড়িয়া গ্রামে যাচ্ছিল। পথে প্রতিবেশী আজিজ শেখের ছেলে জোকার শেখ (২৯) ছোট্ট একটি কাগজে মোড়ানো প্যাকেট ব্যাগের মধ্যে দিয়ে বলেন, ‘সামনে ধলা গ্রামের মোড়ে রক নামের একজন প্যাকেটটি নিতে চাইলে দিয়ে দিস।’ ধলা গ্রামে পৌঁছানোর আগেই বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা তাকে ধরে গাংনী থানায় সোপর্দ করেন।বিজিবি ৩২ ব্যাটালিয়নের রংমহল ক্যাম্পের কমান্ডার সুবেদার আবদুল কুদ্দুস জানান, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বিজিবির টহল দল শিশুটির ব্যাগ তল্লাশি করে দুই পুরিয়া হেরোইন উদ্ধার করে। বিজিবি শিশুটির বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে তাকে পুলিশে সোপর্দ করেছে। মামলায় জোকার ও রক নামের দুই ব্যক্তিকেও আসামি করা হয়েছে।শিশুটির বাবা শওকত আলী বলেন, রকি ও জোকার মাদক ব্যবসায়ী। তাঁরা ষড়যন্ত্রমূলকভাবে এ ঘটনা ঘটিয়েছেন। রংমহল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেন জানান, তানজিল বিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র। তার রোল নম্বর ৪। অথচ ষড়যন্ত্রমূলকভাবে এমন শিশুকে মাদক মামলায় আসামি করা খুবই দুঃখজনক।গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদুল আলম বলেন, শিশুটির বিরুদ্ধে থানায় বা তার গ্রামে আগের কোনো অভিযোগ নেই। তাই শিশুটির প্রতি পুলিশের সহানুভূতি থাকলেও এখন পুলিশের কিছুই করার নেই। তবে তদন্তে নির্দোষ প্রমাণিত হলে শিশুটি অভিযোগপত্র (চার্জশিট) থেকে অব্যাহতি পাবে।শীতের এই সময়টা খুবই শুষ্ক। এই সময় শুরু হয় পা ফাটার সমস্যা। কারও কারও এই পা ফাটা এত বেশি হতে পারে যে রক্ত বেরোয় এবং ফাটা অংশ দিয়ে জীবাণু প্রবেশ করে পায়ে ঝুঁকিপূর্ণ সংক্রমণও হয়। এ বিষয়ে লিখেছেন বারডেম হাসপাতালের চর্ম বিভাগের চিকিৎসক মো. মনিরুজ্জামান খান।সমস্যা যাদের বেশিশীতকালে যেকোনো মানুষেরই পা ফাটে, কিন্তু কারও কারও এই সমস্যা খুব বেশি প্রকট হয়ে দেখা দিতে পারে। যেমন: যাদের থাইরয়েডে সমস্যা আছে তাদের এমনিতেই ত্বক খুব শুষ্ক থাকে, একই কথা ডায়াবেটিসের রোগীদের বেলায়ও প্রযোজ্য। ডায়াবেটিসে স্নায়ুজনিত সমস্যায় পায়ের আর্দ্রতা নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি অনুভূতিতেও সমস্যা দেখা দেয়। তাই অনেক সময় পায়ে গভীর ক্ষত সৃষ্টি হয়ে ঘা বা গ্যাংগ্রিন পর্যন্ত হতে পারে। যাদের সোরিয়াসিস, একজিমা বা কোনো চর্মরোগ আছে তাদের পায়ে সমস্যা বেশি হয়। বয়স্ক ব্যক্তিদের পা ফাটার সমস্যা বেশি।কেন পা ফাটে১. পুরো শরীরের মধ্যে পা ও এর তলাটাই সবচেয়ে শুষ্ক। কেননা দেহের অন্যত্র ত্বকের মাঝে তৈলগ্রন্থি থাকলেও পায়ের তালুতে তা নেই। কেবল ঘর্মগ্রন্থি আছে। ঠান্ডার দিনে ঘামও তেমন হয় না বলে পায়ের তলার আর্দ্রতা সহজে বিনষ্ট হয়। ফলে পা শুষ্ক হয়ে পড়ে ও ত্বক ফেটে যায়।২. পা যখন ফাটে, তখন ত্বক লাল হয়ে যেতে পারে, চুলকাতে পারে। এমনকি পায়ের ত্বক খোসার মতো উঠে গিয়ে ঝরে পড়তে পারে। কখনো রক্তাক্ত হতে পারে, ক্ষত সৃষ্টি হতে পারে।চার পরামর্শ১: খুব ঠান্ডা আবহাওয়ায় পা মোজা দিয়ে ঢেকে রাখুন।২: প্রতিদিন গোসল বা অজুর সময় পা ভেজানোর পর একটা শুকনো তোয়ালে বা কাপড় দিয়ে ভালো করে মুছে নিন। গোড়ালি ও তালুতে পেট্রোলিয়াম জেলি বা গ্লিসারিন মাখুন।৩: সপ্তাহে এক দিন পায়ের বিশেষ যত্ন নিন। গামলায় লেবুর রসমিশ্রিত হালকা গরম পানিতে পা ভিজিয়ে পা ঘষে মৃত কোষ ফেলে দিন। লেবুর রসে যে অ্যাসিটিক অ্যাসিড আছে তা মৃত কোষ ঝরতে সাহায্য করবে। তারপর পা মুছে পেট্রোলিয়াম জেলি বা গ্লিসারিন লাগিয়ে নিন।৪: জটিলতা বেশি হলে বা সংক্রমণ হয়েছে মনে হলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।বাঁশখালীতে সহিংসতার যে আগুনের সূত্রপাত ঘটেছে চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে, সে জন্য ঘুরেফিরে স্থানীয় প্রশাসনের ব্যর্থতাকে দায়ী করছে ভুক্তভোগীরা। পদাধিকার বলে স্থানীয় প্রশাসনের প্রধান হচ্ছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, ইউএনও শাব্বির ইকবাল বাঁশখালীর আইনশৃঙ্খলাসহ সার্বিক বিষয় নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন না বলে বারবার নাশকতার ঘটনা ঘটছে।শাব্বির ইকবালের গ্রামের বাড়ি বাঁশখালীর দক্ষিণে পাশের পেকুয়া উপজেলায়। ‘জামায়াত-সমর্থিত আওয়ামী লীগ’ ছাড়াও বিরোধী জোটের স্থানীয় নেতাদের কাছে তিনি বেশ জনপ্রিয়। ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে তাঁকে বাঁশখালীতে ইউএনও করে পাঠানো হয়।চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ আবদুল্লাহ বলেন, গতকাল রোববার বিকেলে শাব্বির ইকবালকে বদলি করে জনপ্রশাসনে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়েছে। ফেনীর পরশুরাম উপজেলার ইউএনও আরিফ আহমেদ খানকে তাঁর স্থলাভিষিক্ত করা হয়েছে। আজ সোমবারের মধ্যে এ আদেশ কার্যকর করা হবে।সরেজমিনে ভুক্তভোগীদের কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি দক্ষিণ চাম্বল বাজারে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ব্যানার নামানোর ঘটনার জের ধরে বাঁশখালীতে পুলিশের সঙ্গে জামায়াত-শিবিরের সংঘর্ষ হয়। তখন পুলিশ পিছু হটতে বাধ্য হয়। এর পরই স্থানীয় প্রশাসনের সতর্ক থাকার দরকার ছিল, যেটা করা হয়নি। বরং প্রশাসনের কর্মকাণ্ড জামায়াত-শিবিরের উচ্ছৃঙ্খল কর্মীদের উৎসাহিত করেছে বলে অনেক ভুক্তভোগীর অভিযোগ। তাঁদের প্রশ্ন, ‘সরষের মধ্যে ভূত থাকলে সেই ভূত কে তাড়াবে?’বাঁশখালীতে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার কারণে ইতিপূর্বে একবার শাব্বির ইকবালের বদলির আদেশও হয়। কিন্তু তাঁর বদলি ঠেকানোর জন্য জনপ্রতিনিধিদের ব্যানারে একদল লোক বাঁশখালী থেকে গত ২৮ অক্টোবর চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে এসে স্মারকলিপি দেন, যেখানে জামায়াতের অনেক জনপ্রতিনিধি ছিলেন। আরও ছিলেন পূজা উদ্যাপন কমিটি ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নেতারা।চট্টগ্রাম বিভাগীয় কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবদুল্লাহ বলেন, ‘বাঁশখালী থেকে শাব্বির ইকবালকে বদলির আদেশ দেওয়া হয়েছিল। বাঁশখালী থেকে কিছু লোক এসে তাঁর বদলি ঠেকানোর জন্য আমার কাছে স্মারকলিপি দিয়েছিলেন।’ইউএনও শাব্বির ইকবাল এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমার একবার বদলির আদেশ হয়েছিল বলে শুনেছিলাম। কিন্তু লিখিত আদেশ হাতে পাওয়ার আগেই বাঁশখালীর ১২ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলা চেয়ারম্যান ও দুই ভাইস চেয়ারম্যান এবং পূজা উদ্যাপন কমিটির কর্মকর্তা ও বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের লোকজন বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকের সঙ্গে দেখা করেছেন। এরপর কী ঘটেছে সেটা তো দেখতে পারছেন।’খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বাঁশখালীর ১৫ জনপ্রতিনিধির মধ্যে ১২ জনই বিএনপি ও জামায়াতের স্থানীয় নেতা। উপজেলা জামায়াতের আমির ও সেক্রেটারিও বাঁশখালীর দুটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান। তাঁদের তদবিরে ঠেকে গেছে ইউএনওর বদলির আদেশ। এমনটি মনে করছেন ভুক্তভোগীরা। তাই নাশকতাকারীদের স্বার্থ রক্ষার দায়িত্ব ইউএনও শাব্বিরের হাতে বলে অনেকে মন্তব্য করেন।সরেজমিন ঘুরে জানা গেছে, জামায়াতপন্থী আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী ছাড়াও পূজা উদ্যাপন কমিটি ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদের স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে শাব্বির ইকবালের সুসম্পর্ক রয়েছে। যেকোনো পরিস্থিতিতে তিনি এসব লোকদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে পার পাওয়ার চেষ্টা করেন। এ জন্য একজন মন্ত্রীও তাঁর পক্ষে সুপারিশ করেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।আওয়ামী লীগের একাংশের নেতা ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নুর হোসেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার গুণকীর্তন করেন। তিনি বলেন, ‘ইউএনও শাব্বির সাহেবকে অনেকে জামায়াত বলে চিহ্নিত করতে চায়। তিনি তো নামাজ পড়েন না। তাহলে জামায়াত সমর্থক কর্মকর্তা হলেন কীভাবে?’একই সুরে কথা বললেন বাঁশখালীর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুল হাসান। ওসি বলেন, ‘ইউএনও সাহেব শুক্রবারেও নামাজ পড়েন না বলে আমি শুনেছি। জামায়াতরা নামাজ-কালাম পড়েন।’ইউএনও শাব্বিরের বাড়ি কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলায়। তাঁর পরিবারের সবাই জামায়াতের সক্রিয় রাজনীতি করেন বলে জানা গেছে। তাঁর এক ভাই শামীম ইকবাল কক্সবাজারের মহেষখালী (দক্ষিণ) জামায়াতের সেক্রেটারি।ইউএনও শাব্বির ইকবাল দাবি করেন, ‘আমার ভাই শামীম ইকবালের সঙ্গে অনেক দিন যোগাযোগ নেই। তিনি (শামীম) রাজনীতি করেন কি না, সেটাও আমার জানা নেই।’ |
গুরু হোসে মরিনহো আর শিষ্য আন্দ্রে ভিলাস-বোয়াসের কারণে আলোচনায় ছিল টটেনহাম-চেলসির ম্যাচটি। কিন্তু দিন শেষে লন্ডন ডার্বিকে এক পাশে সরিয়ে রেখে বড় আলোচনার জন্ম দিল ওয়েস্ট ব্রম ও অ্যাস্টন ভিলা। দুই ‘পুঁচকে’ কাল একসঙ্গে ঘটিয়েছে অঘটন। হারিয়ে দিয়েছে ম্যানচেস্টারের দুই প্রতিবেশী ইউনাইটেড ও সিটিকে।গত সপ্তাহে সিটির কাছে ৪-১ গোলে বিধ্বস্ত হয়েছিল ইউনাইটেড। ডেভিড ময়েসের দলের সেই হতাশা কাল আরও গাঢ় করেছে ওয়েস্ট ব্রম। ইউনাইটেডের মাঠে এসেই ইউনাইটেডকে হারিয়েছে ২-১ গোলে। দু-দুবার এগিয়ে গিয়েও অ্যাস্টন ভিলার মাঠ থেকে সিটিকে ফিরতে হয়েছে ৩-২ গোলের হার নিয়ে। এ হারে ইউনাইটেডের ৬ ম্যাচে পয়েন্ট মাত্র ৭। পয়েন্ট তালিকায় বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের ঠাঁই হয়েছে ১৩ নম্বরে! ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে ইউনাইটেডের সবচেয়ে বাজে শুরু! ৫৪ মিনিটে পিছিয়ে পড়ার পর ফ্রি কিক থেকে রুনির গোল তিন মিনিট পরই সমতায় ফিরিয়েছিল ইউনাইটেডকে। বিপদ আঁচ করতে পেরে কোচ ময়েস মাঠে নামিয়ে দেন রবিন ফন পার্সিকেও। তাতেও কাজ হয়নি। উল্টো ৬৭ মিনিটে ২০ বছর বয়সী মিডফিল্ডার সাইদো বেরাহিনোর গোল ইউনাইটেডকে কাঁদিয়েছে।ইউনাইটেড-সিটির হতাশার দিনেও জয়ের ধারা অব্যাহত রেখেছে আর্সেনাল। আর্সেন ওয়েঙ্গারের দল সোয়ানসি সিটির মাঠ থেকে ফিরেছে ২-১ গোলের জয় নিয়ে। হার দিয়ে মৌসুম শুরু করা আর্সেনালের এটা টানা পঞ্চম জয়। ৬ ম্যাচে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট তালিকাতেও আর্সেনাল শীর্ষে। মরিনহো-ভিলাস-বোয়াসের লড়াইয়ে হারে কেউ। টটেনহাম-চেলসির ম্যাচটি শেষ হয়েছে ১-১ গোলে। অবশ্য ড্রয়ের মধ্যেও চেলসির হতাশা, লালকার্ড পেয়েছেন ফার্নান্দো তোরেস।স্প্যানিশ লা লিগায় বার্সেলোনা গড়েছে রেকর্ড। কাল আলমেরিয়ার বিপক্ষে ২-০ গোলের জয়ের মধ্য দিয়ে বার্সা জিতল মৌসুমের সাত ম্যাচেই। সাত ম্যাচে ২১ পয়েন্ট—ক্লাব ইতিহাসেই বার্সেলোনার সবচেয়ে ভালো শুরু। দুর্বল আলমেরিয়ার বিপক্ষে জয়টির জন্য বার্সাকে বড় একটা মূল্যও দিতে হয়েছে। ঊরুতে চোট পেয়ে ২৯ মিনিটে মাঠ ছেড়েছেন লিওনেল মেসি। অবশ্য মাঠ ছাড়ার ৮ মিনিট আগেই বার্সাকে এগিয়ে দেন মেসি। বার্সার অন্য গোলটি আদ্রিয়ানোর।জার্মান বুন্দেসলিগায় বায়ার্ন মিউনিখ ১-০ গোলে ভলফসবুর্গকে এবং বরুসিয়া ডর্টমুন্ড ৫-০ গোলে হারিয়েছে ফ্রেইবুর্গকে। এএফপি ও ওয়েবসাইট।সর্বদলীয়, না নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে—এ নিয়ে সরকার ও বিরোধী দলের পাল্টাপাল্টি প্রস্তাবের সমালোচনা করে গণতান্ত্রিক বাম মোর্চা একটি সাংবিধানিক কমিশনের মাধ্যমে স্বাধীন নির্বাচন কমিশন গঠন এবং নির্বাচনের সময় নির্বাচন কমিশনের অধীনে সব নির্বাহী ক্ষমতা অর্পণের প্রস্তাব দিয়েছে।কয়েকটি বাম সংগঠনের এ মোর্চা গতকাল মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন নিয়ে সরকার ও বিরোধী দলের বিবদমান অবস্থানের সমালোচনা করে বলেছে, নির্বাচনব্যবস্থা টাকার খেলা এবং পেশিবাজদের উন্মত্ত প্রতিযোগিতায় অধঃপতিত হয়েছে। মোর্চার পক্ষে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের সংশোধনী পাসের সমালোচনা করে বলা হয়, এর ফলে নির্বাচনে টাকার খেলাকে আইনগত ভিত্তি দেওয়া হয়েছে।রাজধানীর তোপখানা রোডে অবস্থিত কমরেড নির্মল সেন মিলনায়তনে আয়োজিত ওই সংবাদ সম্মেলনে গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার সমন্বয়ক সাইফুল হক লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান। সংবাদ সম্মেলনে বাসদের কেন্দ্রীয় নেতা শুভ্রাংশু চক্রবর্তী, শ্রমিক কৃষক সমাজবাদী দলের আহ্বায়ক সিদ্দিকুর রহমান, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের সভাপতি হামিদুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।নেতারা বলেন, নির্বাচন নিয়ে দেশ যখন শঙ্কা ও অনিশ্চয়তার ভেতর রয়েছে, ঠিক সে সময়ই সরকার জননিরাপত্তার অজুহাত তুলে ঢাকায় সভা-সমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার রুদ্ধ করেছে—যা সংবিধানের গুরুতর লঙ্ঘন। সংবাদ সম্মেলনে আগামী ১ নভেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার পূর্বঘোষিত গণসমাবেশ অনুষ্ঠানের ঘোষণা পুনর্ব্যক্ত করা হয়।দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুষ্টিয়া-১ (দৌলতপুর) আসন থেকে মনোনয়নপত্র তোলায় দৌলতপুর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি নুরুজ্জামান হাবলু মোল্লাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত বুধবার বিকেল চারটার দিকে দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা কার্যালয় থেকে নুরুজ্জামান মোল্লার পক্ষে ফিরোজ হোসেন নামের এক ব্যক্তি মনোনয়নপত্র তোলেন। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে দৌলতপুর উপজেলা বিএনপির এক জরুরি সভায় তাঁকে বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়।বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে অভাবনীয় পরিবর্তন আসছে ২০১৪ সালে। নাগালেই চলে আসবে ভূগর্ভস্থ বৃহত্তম হোটেল থেকে শুরু করে স্টার ওয়ার্স চলচ্চিত্রের মতো দৃশ্যমান যোগাযোগের প্রযুক্তি। গত শনিবার যুক্তরাজ্যের সংবাদপত্র টেলিগ্রাফে প্রকাশিত এ রকম ১০ প্রযুক্তি:১: বিশ্বের যেকোনো স্থানে আপনার উপস্থিতি চলমান ত্রিমাত্রিক (থ্রিডি) ছবি বিশ্বের যেকোনো স্থানে পৌঁছে দেওয়া যাবে এক মুহূর্তে। সশরীরে না হলেও আপনি এভাবেই বিরাজ করতে পারবেন সর্বত্র। স্টার ওয়ার্স ছবিতে এ রকম দৃশ্য রয়েছে। বাস্তবে এই প্রযুক্তি আনার চেষ্টা করছে পোল্যান্ডের লিয়া নামের একটি প্রতিষ্ঠান। তারা বাষ্পের মধ্যে লেজার রশ্মির মাধ্যমে যেকোনো মানুষের থ্রিডি ছবি তৈরি করতে পারে। ২: নতুন উচ্চতায় বিদ্যুৎ-চালিত গাড়ি বিদ্যুৎ-চালিত গাড়ির (ইলেকট্রিক কার) জন্য ২০১৪ সালটি হতে পারে একটি স্মরণীয় বছর। চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে ১৩ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে বিশ্বের প্রথম ইলেকট্রিক কার রেসিং প্রতিযোগিতা বা ফর্মুলা ই রেসিং। ৩: অনলাইনে বিকিকিনি আরও দ্রুতঅনলাইনে কেনাকাটার বড় একটি বাধা হলো, পণ্য পৌঁছানোয় দীর্ঘসূত্রতা। এ সময় মাত্র এক দিনে নামিয়ে আনার মতো বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসছে। অনলাইন বিকিকিনির বড় প্রতিষ্ঠান অ্যামাজান ও ইবে এ সুখবর জানিয়েছে।৪: ভার্চুয়াল বাস্তবতা কম্পিউটার গেমসের কল্যাণে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি কথাটি অতিপরিচিত। কম্পিউটারে তৈরি একটি কৃত্রিম পরিবেশকে বাস্তবের আদলে রূপান্তরেই এই প্রযুক্তির কারিগরি। এমন কিছু প্রযুক্তি আসবে, যাতে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি কম্পিউটারের পর্দা ছেড়ে আমাদের চোখের সামনেই চলে আসবে। ৫: মহাকাশে পর্যটন ২০১৪ সালের কোনো এক সময়ে পর্যটকদের নিয়ে মহাকাশে যাবে ভার্জিন গ্যালাক্টিকম নামের একটি প্রতিষ্ঠান। তখন একটি টেলিভিশন চ্যানেল সেই মহাকাশ ভ্রমণের সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি সম্প্রচার করবে। এতে মহাকাশেও ঘটবে পর্যটনশিল্পের বিকাশ।৬: এক কার্ডে সবকিছুযুক্তরাষ্ট্রে প্রতি পাঁচজনের একজনই পকেটে কোনো অর্থ রাখেন না। সব কেনাকাটায় তাঁরা ক্রেডিট কার্ডই ব্যবহার করেন। তবে একাধিক ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের ঝামেলা এড়াতে এক কার্ডেই সব কাজ চালানোর ব্যবস্থা চলে আসবে ২০১৪ সালে। ৭: মাটির নিচে হোটেল চীনের সাংহাইয়ে ৩৪ কোটি ৫০ লাখ পাউন্ড ব্যয়ে তৈরি হচ্ছে বিশ্বের গভীরতম ভূগর্ভস্থ হোটেল। পাঁচ তারকা ওই হোটেলের ১৭টি তলাই থাকবে মাটির নিচে। ৮: নতুন প্রযুক্তির রকেট ইঞ্জিন পৃথিবী থেকে মঙ্গলে যেতে বর্তমান প্রযুক্তির রকেটে নয় মাস সময় লাগে। এই সময়-দূরত্ব কমিয়ে আনতে নাসা বানিয়েছে নতুন ধরনের ইঞ্জিন। এটি মানুষকে মঙ্গলে নিয়ে যেতে পারবে মাত্র তিন মাসেই। ৯: কেনাকাটায় আরও স্বচ্ছতা পণ্যের গুণগত মান যাচাইয়ের পাশাপাশি কারা তৈরি করছে, কীভাবে তৈরি করছে, পণ্য তৈরির শ্রমিকেরা সঠিক মূল্য পাচ্ছেন কি না—এসব প্রশ্নের উত্তর দিতেই এসেছে বিভিন্ন ধরনের ওয়েবসাইট ও সার্চ ইঞ্জিন। এ রকম যাচাই করে নেওয়ার প্রবণতা ২০১৪ সালে আরও বাড়বে এবং তা পণ্যের প্রস্তুতকারী শ্রমিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সহায়ক হবে।১০: চিকিৎসায় আরও উন্নতিমানব শরীরের সংবেদনশীল অঙ্গপ্রত্যঙ্গের চিকিৎসায় ২০১৪ সালে এ ধরনের চিকিৎসায় আরও অগ্রগতি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। |
চট্টগ্রাম নগরের বায়েজিদ ফায়ার সার্ভিসের সামনের সড়কে পিকআপ ভ্যানের চাপায় এক শিশু নিহত হয়েছে। গতকাল শনিবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।পুলিশ জানায়, নিহত শিশু ফাতেমা আক্তারের (৮) বাড়ি কুমিল্লার দেবীদ্বার থানা এলাকায়। তার বাবা বশির মিয়া রিকশাচালক। নগরের বায়েজিদ বোস্তামি এলাকার আরেফিন নগরের ফালুনির কলোনিতে তাদের বাসা।চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জহিরুল ইসলাম বলেন, রাস্তা পার হওয়ার সময় একটি পিকআপ ভ্যান শিশুটিকে চাপা দেয়। পথচারীরা শিশুটিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করায়। পরে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।জামায়াতের নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের প্রথম সাক্ষী মুক্তিযোদ্ধা মাহবুবুল আলম হাওলাদারের বাড়িতে এখনো তাণ্ডবের চিহ্ন রয়ে গেছে। এখনো সবকিছু এলোমেলো পড়ে আছে। পরিবারের সদস্যদের আতঙ্ক কাটেনি। আবার কখন হামলা চালায়, সেই ভয়ে দিন কাটছে তাঁদের।মাহবুবুলের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, জামায়াত-শিবিরের ক্যাডাররা বাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক তাণ্ডব চালায়। রান্নার চুলা গুঁড়িয়ে দেয়। ফলে অন্যের বাড়ি থেকে পাঠানো খাবার খেয়ে আছেন তাঁরা।গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে পিরোজপুরের জিয়ানগর উপজেলায় মাহবুবুলের বাড়িতে গেলে দেখা যায়, একজন সহকারী উপপরিদর্শকের (এএসআই) নেতৃত্বে পুলিশ সদস্যরা বাড়ির নিরাপত্তার দায়িত্বে আছেন। মাহবুবুলের স্ত্রী রিনা বেগম বলেন, ‘আমার চার সন্তানের মধ্যে দুজন ঢাকায় থাকে। বাড়িতে আছে ছয় বছর বয়সী মেয়ে মাহবুবা আর ছোট ছেলে পাঁচ বছরের মাইনুল হোসেন। হামলার সময় মাইনুল ভয় পেয়েছে। তার গায়ে জ্বর উঠেছে। চুলা ভেঙে ফেলায় রান্না বন্ধ, আত্মীয়স্বজনের দেওয়া খাবারে চলছে আমাদের।’রিনা বেগম বলেন, ‘হামলার সময় আমি ঘরের পেছনে লুকিয়ে ছিলাম। ওরা আমাদের পেলে মেরে ফেলত। রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে আমাদের স্থায়ীভাবে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হোক। পুলিশ সদস্যরা চলে গেলে আমরা কীভাবে বাঁচব।’পিরোজপুর সদর হাসপাতালের চিকিৎসক শিশির রঞ্জন অধিকারী বলেন, ভয় পেলে জ্বর, পাতলা পায়খানা, খিঁচুনি হতে পারে। মাহবুবুল বলেন, ‘সাঈদীর বিরুদ্ধে একাত্তরে হত্যা ও লুটপাটের অভিযোগে মামলা করার পর থেকে আমাকে ফোনে অসংখ্যবার হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে। হামলাকারীরা সাঈদীর বিরুদ্ধে করা মামলার কাগজপত্রসহ গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র নিয়ে গেছে।’গত সোমবার মাহবুবুলের জিয়ানগর উপজেলার পারেরহাট ইউনিয়নের টেংরাখালী গ্রামের বাড়িতে জামায়াতের কর্মীরা হামলা ও ভাঙচুর চালান। এ সময় তাঁরা বাড়িতে থাকা টিউবওয়েল, শৌচাগার ও রান্নাঘর ভেঙে ফেলেন। এ ঘটনায় ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জিয়ানগর উপজেলার ইন্দুরকানী থানার ওসি নাসির উদ্দিন মল্লিক জানান।জেলা পুলিশ সুপার এস এম আক্তারুজ্জামান জানান, নিরাপত্তার খাতিরে মাহবুবুলের বাড়িতে ছয়জন অস্ত্রধারী পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। সাক্ষীদের নিরাপত্তায় জিয়ানগর উপজেলার পারেরহাট ইউনিয়নের বৌডুবি বাজারে একটি পুলিশ ক্যাম্প বসানো হয়েছে।পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় নবদম্পতিদের নিয়ে নিরাপদ মাতৃত্ব ও পুষ্টিবিষয়ক উদ্বুদ্ধকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের উদ্যোগে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসের হলরুমে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মুক্তারুল হক। পঞ্চগড় প্রতিনিধিচট্টগ্রাম-হাটহাজারী মহাসড়কের এগারো মাইল এলাকায় গতকাল রোববার বিকেলে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও লেগুনার (স্থানীয় ভাষায় তরি) মুখোমুখি সংঘর্ষে ব্যাংক ম্যানেজারসহ দুজন ঘটনাস্থলে মারা গেছেন। এ দুর্ঘটনায় আরও পাঁচজন গুরুতর আহত হয়েছেন। দুর্ঘটনায় অটোরিকশাটি দুমড়েমুচড়ে যায়।প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গতকাল বিকেল চারটার সময় চট্টগ্রামমুখী লেগুনার সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই মার্কেন্টাইল ব্যাংক হাটহাজারী শাখার ম্যানেজার আবদুর সবুর (৪৫) ও ব্যবসায়ী মো. হাছান (৩৫) মারা যান। প্রথমজনের বাড়ি ফটিকছড়ির কাঞ্চননগর ও দ্বিতীয়জনের বাড়ি রাউজানের গহিরা মাইজপাড়ায় বলে জানা গেছে।দুর্ঘটনার পর উপস্থিত লোকজন আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে স্থানীয় ক্লিনিকে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মো. হানিফ দুজন মারা যাওয়ার বিষয় নিশ্চিত করেন এবং আহতদের অবস্থা আশঙ্কামুক্ত নয় বলে জানান।দুর্ঘটনায় নিহত ব্যাংক ম্যানেজারের ছেলে মো. রাহি (৮), অটোরিকশার চালক, চল্লিশোর্ধ্ব এক নারী ও দুই শিশু আহত হয়েছে। আহত ব্যক্তিদের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। দুর্ঘটনার পরপরই লেগুনাটি নিয়ে চালক পালিয়ে যান। |
বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার সাধারণ সম্মেলনে কৃষিতে ভর্তুকি কমানোর বিষয়ে তুমুল বিতর্ক চলছে। উন্নত বিশ্বের দেশগুলো কিছুতেই তাদের কৃষি-ভর্তুকি কমাবে না, উন্নয়নশীল দেশগুলোও তাদের দাবি ছাড়বে না। শ্রীলঙ্কার প্রতিনিধি রাকিব আর ইন্দোনেশিয়ার প্রতিনিধি ফারহানের তীব্র যুক্তির কাছে অবশেষে উন্নত দেশগুলো নতি স্বীকার করল। তিন দিনের টানা আলোচনার পর বিশ্বনেতারা একটি গ্রহণযোগ্য সিদ্ধান্তে পৌঁছালেন। সেই সিদ্ধান্ত জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে সর্বসম্মতিক্রমে পাস হলো। কিন্তু সম্মেলন শেষে দেখা গেল এক অদ্ভুত দৃশ্য—ভারতের প্রতিনিধি রুবাইত আর পাকিস্তানের প্রতিনিধি বাঁধন একে অন্যের খুব ভালো বন্ধু হয়ে গেছেন। অন্যদিকে, ইসরায়েলের প্রতিনিধি শুভ্র, আরব আমিরাতের প্রতিনিধি শামান্তাকে জানিয়েছেন নিজ দেশে ভ্রমণের আমন্ত্রণ। কূটনীতির আড়ালে ঢেকে থাকা সম্মেলন শেষ দিনে পরিণত হলো বন্ধুত্বের মিলনমেলায়।বলছিলাম ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মডেল ইউনাইটেড নেশনস কনফারেন্স (ডানমুন ২০১৩)’-এর কথা। ১৭ থেকে ২০ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিনেট ভবনে অনুষ্ঠিত হয় এ সম্মেলন। বিশ্ব সম্প্রীতি রক্ষার উদ্দেশ্যে সৃষ্ট জাতিসংঘের আদলে গড়ে তোলা ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মডেল ইউনাইটেড নেশনস অ্যাসোসিয়েশন’ (ডিইউমুনা) দ্বিতীয়বারের মতো আয়োজন করেছে ডানমুন ২০১৩। ডানমুন ২০১৩-এর প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল ‘মানবতাকে ধারণ করে শান্তি প্রতিস্থাপন’।ডানমুন ২০১৩-তে ছিল আটটি কমিটি—ইকোনমিক ও ফিন্যান্সিয়াল কমিটি, ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন, হিউম্যানিটারিয়ান ও কালচারাল কমিটি, ওয়ার্ল্ড ট্রেড অর্গানাইজেশন, ইউনাইটেড নেশনস এনভায়রনমেন্ট প্রোগ্রাম, হিউম্যান রাইটস কাউন্সিল, সিকিউরিটি কাউন্সিল ও স্পেশাল কমিটি ফর বাংলাদেশ। কমিটিগুলোর প্রতিটিতে আলাদা আলাদা বিষয় সাপেক্ষে ওয়ার্কিং পেপার ও ড্রাফট রেজ্যুলেশন পাস করা হয়, যা শেষ দিন প্ল্যানারি সেশনে রেজ্যুলেশন আকারে পাস হয়।প্রতিষ্ঠার পর ২০১০ সালে থেকে ডিইউমুনা কাজ করে যাচ্ছে শিক্ষার্থীদের মাঝে নেতৃত্বের মাধ্যমে কূটনীতির সৃজনীশক্তি ছড়িয়ে দিতে। দেশের ৩৫টি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৬০০ শিক্ষার্থী যোগ দিয়েছিলেন এবারের ডানমুনে। সব মিলিয়ে ৪০টি পুরস্কার পেয়ে এবারের সম্মেলনে সেরা দল হওয়ার গৌরব অর্জন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।চার দিনে হয়েছে অনেক তর্ক, দর-কষাকষি আর কূটনীতির মারপ্যাঁচ। কিন্তু দিন শেষে আমরা সবাই একে অন্যের বন্ধু, বন্ধুত্বের শক্তি দিয়েই বিশ্বে শান্তি আনতে হবে—এ বার্তাই দিয়ে গেল ডানমুন ২০১৩।ডিইইমুনার প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মামুন মিয়া ও সাধারণ পরিষদের মহাসচিব ফায়েজ আহমেদ এই সম্মেলনের ব্যাপ্তিকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আরও ছড়িয়ে দিতে চান। বিশেষ করে আগামী সম্মেলন থেকে বেশি হারে বিদেশি শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণ বাড়ানো তাঁদের মূল লক্ষ্য।গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখতে সিপিবি-বাসদের সহযোগিতা ও পরামর্শ চাইলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।গতকাল মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন গণভবনে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সঙ্গে বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে শেখ হাসিনা এই পরামর্শ চান।প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত পাঁচ বছরে যে উন্নয়ন হয়েছে, তা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বজায় থাকার কারণেই সম্ভব হয়েছে। আবার যদি ‘অন্য কিছু’ এসে যায়, তাহলে এই উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখা সম্ভব হবে না। তাই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে।এক-এগারোর সময় তিনি ও বিরোধীদলীয় নেতা আগে-পরে কারাগারে যান উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০০৮ সালে নির্বাচনের আগে অনেক চাপ আসল। আমাকে প্রস্তাব দেওয়া হয় প্রধানমন্ত্রীর মর্যাদা দেওয়া হবে। মইন উ আহমেদ রাষ্ট্রপতি হবেন। আমাদের সমর্থন দিতে হবে। আমরা সেটা চাইনি।’প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ব্রিগেডিয়ার আমিন আমার কাছে যেত। আমরা নির্বাচন চেয়েছি। তাঁকে আমি বললাম, তোমার জন্মের আগে, মইনের জন্মের সময় আমার বাবা মন্ত্রী। পরে আমার বাবা ও আমি প্রধানমন্ত্রী হয়েছি। মর্যাদার দরকার নেই। প্রধানমন্ত্রী হতে হলে জনগণের ভোটে হব। কে হবে না হবে সেটা পরে হবে।’প্রধানমন্ত্রী তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সমালোচনা করে বলেন, তাদের করা আইন লঙ্ঘন করে ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ প্রধান উপদেষ্টা হন। উপদেষ্টারা পদত্যাগ করেন। আবার নতুন উপদেষ্টারা আসেন। নির্বাচন করতে পারেননি। এরপর যা হওয়ার তাই হয়। অবশ্য মইন ও ফখরুদ্দীন আহমদ দুজনই বর্তমান বিরোধীদলীয় নেতার পছন্দ ছিলেন।প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের পর সিপিবি ও বাসদের নেতাদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতারা রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন।বৈঠকে আওয়ামী লীগের নেতাদের মধ্যে আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, মতিয়া চৌধুরী, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সিপিবির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, সাবেক সভাপতি মনজুরুল আহসান খান, বাসদের সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামানসহ ১৫ জন প্রতিনিধি অংশ নেন।আগামী দুই মেয়াদে তত্ত্বাবধায়ক চায় সিপিবি-বাসদ: বৈঠকে উপস্থিত একাধিক নেতা জানান, আগামী দুই মেয়াদের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা চালু রাখার আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব দিয়েছে সিপিবি-বাসদ। বৈঠকের শুরুতে সিপিবির পক্ষে মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম ও বাসদের পক্ষে খালেকুজ্জামান তাঁদের বক্তব্য তুলে ধরেন। তাঁরা এ-ও বলেছেন, সমঝোতার মাধ্যমে সব দলের অংশগ্রহণের ভিত্তিতে নির্বাচন হওয়া দরকার।বৈঠক সূত্র জানায়, বিরোধী দল নির্বাচনে না এলে সিপিবি-বাসদ নির্বাচনে না-ও আসতে পারে—এমন মনোভাব প্রকাশ করেন মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম ও খালেকুজ্জামান। এরপর আলোচনা আর খুব বেশি এগোয়নি। এর বাইরে রামপালের বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর উল্লেখ করে তা বন্ধের প্রস্তাব করে সিপিবি-বাসদ। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী এর সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে পরিবেশের ক্ষতি হবে না বলে দাবি করেন।এ ছাড়া সিপিবি-বাসদ আরপিওর ধারা পরিবর্তন করে যেকোনো ব্যক্তিকে দল বদল করে নির্বাচন করার সুযোগ দেওয়ার সমালোচনা করে।বাপেক্স ভবন উদ্বোধন: বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেডকে (বাপেক্স) শক্তিশালী করার ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তেল ও গ্যাস উত্তোলনে বিদেশি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তিতে এই রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানিটির অংশীদারি থাকতে হবে। তিনি বলেন, তেল-গ্যাস উত্তোলন ও উৎপাদনে নিজেদের সামর্থ্য অর্জনে প্রকৌশলী ও কর্মকর্তাসহ এর জনশক্তিকে বিদেশি কোম্পানিগুলোর সঙ্গে কাজের সুযোগ দিতে হবে।প্রধানমন্ত্রী গতকাল সকালে কারওয়ান বাজারে বাপেক্স ভবন উদ্বোধন এবং শেরবাংলা নগরে গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেডের (জিটিসিএল) ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনকালে এসব কথা বলেন। খবর বাসসের।অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভাপতি সুবিদ আলী ভূঁইয়া ও সাংসদ আসাদুজ্জামান খান কামাল বক্তৃতা করেন। স্বাগত বক্তৃতা করেন পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান হোসেন মনসুর।নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা নিয়ে বাংলাদেশে হিংসার যে আগুন জ্বলছে, ভারত তাতে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত নয়। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার এ মন্তব্য করা হয়েছে।নির্বাচন নিয়ে বাংলাদেশে চলমান সহিংসতায় ভারত কতটা চিন্তিত, ভারতের সুস্থিতি ও নিরাপত্তার ওপর ক্রমাগত এই হিংসা কী প্রতিক্রিয়া ফেলতে পারে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সৈয়দ আকবরউদ্দিন সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক দেশ। গণতান্ত্রিক রীতি মেনেই সে দেশের সরকার নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করেছে। ভারত সেই সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।’আকবরউদ্দিন আরও জানান, ‘নির্বাচন ঘিরে ওই দেশে সহিংসতা আগেও হয়েছে, এবারও হচ্ছে। তবে আমি মনে করি না, ভারতের সুস্থিতি ও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে এ নিয়ে দুশ্চিন্তা করার মতো কিছু আছে।’পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দুশ্চিন্তার কথা উড়িয়ে দিলেও ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কিন্তু বাংলাদেশের এই হিংসাত্মক ঘটনাবলির ওপর তীক্ষ নজর রেখেছে। নির্বাচন নিয়ে বাংলাদেশের হিংসাত্মক ঘটনা সে দেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের আতঙ্কগ্রস্ত করে তুললে তার প্রভাব ভারতের ওপর পড়বে বলেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আশঙ্কা।মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র প্রথম আলোকে জানায়, ‘এখন পর্যন্ত হিংসাত্মক ঘটনা রাজনৈতিক পরিধিতেই সীমাবদ্ধ রয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশের ইতিহাসে বারবার দেখা গেছে, রাজনৈতিক হিংসার সুযোগ নিয়ে দুষ্কৃতিরা সামাজিক সম্প্রীতিতেও আঘাত হানে। আর সে ক্ষেত্রে ভারতের ওপর তার প্রভাব পড়ে।’মন্ত্রণালয়ের সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলোর সরকারকে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকারের দিক থেকে সজাগ থাকতে বলা হয়েছে। সজাগ করা হয়েছে দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীকেও। প্রধানত দুটি বিষয়ে এই সাবধানতা। অবাঞ্ছিত মানুষ যেন হুট করে সীমানা পেরিয়ে আসা-যাওয়া না করতে পারে এবং বিস্ফোরকসহ অবাঞ্ছিত পণ্যের আনাগোনা না হয়।কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষায় জিপিএ-৫ বেড়েছে চার গুণেরও বেশি। তবে পাসের হার গতবারের চেয়ে কিছুটা কমেছে। শতভাগ পাস করা বিদ্যালয়ের সংখ্যাও কমেছে। পাসের হারে ছেলেরা ও জিপিএ-৫-এ মেয়েরা এগিয়ে আছে।কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ আমীর আলী চৌধুরী জানান, বেশি জিপিএ-৫ পেলেই প্রকৃত জ্ঞানচর্চা হচ্ছে, এমনটা ভাবার কোনো কারণ নেই। এখনকার শিক্ষাব্যবস্থা ফর্মুলা সিস্টেম। পরীক্ষার সিস্টেমের কারণেই জিপিএ-৫-এর সংখ্যা বাড়ছে। এ শিক্ষার্থীদের অনেকেই এসএসসি ও এইচএসসিতে ওই ফল অব্যাহত রাখতে পারবে না বলে আশঙ্কা রয়েছে।বোর্ড সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালে জেএসসি পরীক্ষায় বোর্ডের অধিভুক্ত ছয়টি জেলার এক হাজার ৮৪৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এক লাখ ৯৪ হাজার ৫৫০ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়। এর মধ্যে কৃতকার্য হয়েছে এক লাখ ৭৫ হাজার ৯৬৯ জন। পাসের হার ৯০ দশমিক ৪৫। ছেলেদের পাসের হার ৯১ দশমিক ৬২, মেয়েদের ৮৯ দশমিক ৫৬। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৬ হাজার ৯৫ জন। এর মধ্যে ছেলে ছয় হাজার ৬৬৫ জন, মেয়ে নয় হাজার ৪৩০ জন। এ বছর শতভাগ পাস করেছে ৩১৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।২০১২ সালে কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ছিল ৯১ দশমিক ৮৬। এবার পাসের হার কমেছে ১ দশমিক ৪১ ভাগ। গত বছর জিপিএ-৫ পেয়েছিল তিন হাজার ৭৬৩ জন। এ বছর জিপিএ-৫ এক লাফেই বেড়েছে ১২ হাজার ৩৩২। বোর্ডে সেরা ২০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে প্রথম হয়েছে কুমিল্লা জিলা স্কুল, দ্বিতীয় কুমিল্লার নবাব ফয়জুন্নেছা সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় ও তৃতীয় কুমিল্লা মডার্ন হাইস্কুল। সেরা ২০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে কুমিল্লার ১০টি, ফেনীর তিনটি, চাঁদপুরের তিনটি, নোয়াখালীর তিনটি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার একটি বিদ্যালয় রয়েছে।ক্যাডেট কলেজের মধ্যে এবার ফেনী গার্লস ক্যাডেট কলেজ চতুর্থ ও কুমিল্লা ক্যাডেট কলেজ ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে। উভয় ক্যাডেট কলেজের সবাই জিপিএ-৫ পেয়েছে।কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কায়সার আহমেদ জানান, এ বছর চতুর্থ বিষয় থাকায় জিপিএ-৫ বেড়েছে। অবরোধ, হরতাল না থাকলে পাসের হারও বাড়ত। কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আবুল কাসেম মিয়া বলেন, ‘বোর্ডের সার্বিক ফলে আমরা সন্তুষ্ট। দেশে অস্থিরতা কম থাকলে আরও ভালো করত খুদে শিক্ষার্থীরা।’ |
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সিলেট সমাবেশ ঘিরে বিএনপির ‘নিখোঁজ’ নেতা এম ইলিয়াস আলীর সন্ধান দাবির প্রচারণাও জোরেশোরে চলছে।আগামী ৫ অক্টোবর খালেদা জিয়ার সমাবেশ হবে সিলেটের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে। ওই মাঠের পাশের চৌহাট্টা মোড় থেকে রিকাবিবাজার কাজী নজরুল সরণি পর্যন্ত বিএনপির রকমারি প্রচারণার বিলবোর্ড, ব্যানার, ফেস্টুন সাঁটানো হয়েছে। এসবে ‘ইলিয়াস আলীকে ফিরিয়ে দাও’ দাবি থাকলেও গতকাল শনিবার কাজী নজরুল সরণি মোড়ে ইলিয়াসের মেয়ের ছবিসংবলিত বিলবোর্ড ‘আব্বুকে ফিরিয়ে দাও...’ টানানো হয়েছে।সরেজমিনে দেখা গেছে, বিরাট এ বিলবোর্ড টানানো হয়েছে ওই এলাকায় একটি মুঠোফোন কোম্পানির বিজ্ঞাপনী বিলবোর্ড ঢেকে। ইলিয়াস ও মেয়ে সাইয়ারা নাওয়ালের ছবিসংবলিত বিলবোর্ডে বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য ও সাবেক সাংসদ কলিমউদ্দিন আহমদের নাম রয়েছে। তাঁর নামে এ বিলবোর্ড সাঁটানো হয়েছে।কলিমউদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘সিলেটে বিএনপির রাজনীতির ইতিহাসে গত দেড় বছরে সর্বাধিক উচ্চারিত দাবি—ইলিয়াসকে ফিরিয়ে দাও। এ দাবির পেছনে একটি পরিবার, সন্তান ও জনসাধারণের আবেগের প্রকাশ প্রবলভাবে ঘটাতেই আমরা দাবিটি বড় করে প্রকাশ করেছি।’ এম ইলিয়াস আলী গত বছরের ১৭ এপ্রিল ঢাকার বনানী থেকে গাড়িচালক আনসার আলীসহ ‘নিখোঁজ’ হন। সে সময় সিলেটে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের নিয়ে গঠিত হয় ‘ইলিয়াস মুক্তি সংগ্রাম পরিষদ’। সংগ্রাম পরিষদের নগর কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক আমিনুল হক বলেন, ‘ইলিয়াসকে ফিরিয়ে দাও, পরিবারের নানা রকম আহ্বানসংবলিত ১০ হাজার ফেস্টুন, পাঁচ হাজার ব্যানার, এক হাজার বিলবোর্ড নগরে টানানো হবে। এর মধ্যে সমাবেশস্থলের জন্য রয়েছে তিন শতাধিক ব্যানারসহ দুই হাজার ফেস্টুন।’ ২০১১ সালের ১০ অক্টোবর আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে সর্বশেষ খালেদা জিয়ার উপস্থিতিতে সমাবেশ হয়েছিল। সেই সমাবেশে সভাপতিত্ব করেছিলেন এম ইলিয়াস আলী। সমাবেশ দেওয়া তাঁর বক্তৃতা নিয়েও ঝড় উঠেছিল।সমাবেশ আয়োজনে ক্ষমতাসীনদের রাজনৈতিক হয়রানির একাধিক অভিযোগ তুলে ধরে ইলিয়াস বলেছিলেন, ‘বিএনপি ক্ষমতায় গেলে আওয়ামী লীগ নেতাদের ডান্ডাবেড়ি পরানো হবে।’ এবারের সমাবেশে ইলিয়াস আলীর সেই আহ্বানেরই প্রতিফলন ঘটবে জানিয়ে ইলিয়াসের একান্ত সহকারীর দায়িত্ব পালনকারী জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক মো. ময়নুল হক বলেন, ‘লিডারের (ইলিয়াস) ওই উক্তি সাধারণ কর্মী-সমর্থকদের অন্যরকমভাবে উজ্জীবিত করেছিল। এবার লিডার নেই, কিন্তু প্রচারণা আর সাধারণ কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে তাঁর সরব উপস্থিতি রয়েছে।’সিলেটে ইলিয়াসের নেতৃত্বাধীন গঠিত জেলা বিএনপির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি সাবেক সাংসদ দিলদার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘যত দিন যাচ্ছে, ততই ইলিয়াস ইস্যু জোরালো হচ্ছে। এ জন্যই আমরা জেলা কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়ে রেখেছি, সাংগঠনিক সব কর্মসূচিতেই ‘ইলিয়াস আলীকে ফিরিয়ে দাও...’ দাবি অনিবার্যভাবে থাকবে। প্রায় এক বছর ধরে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হওয়ায় বিষয়টি গণদাবিতে রূপ নিয়েছে।’সহিংস রাজনীতির সুযোগে যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের কয়েকজন বিচারক, বাদী ও সাক্ষীদের বাসাবাড়িতে বোমা হামলার নিন্দা জানিয়েছে সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম—মুক্তিযুদ্ধ ’৭১। একই সঙ্গে সহিংস ও নৈরাজ্য সৃষ্টিকারী রাজনীতির পথ পরিহার করে মুক্ত আলোচনার মাধ্যমে একটি সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের পথ উন্মুক্ত করার জন্য আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি।গতকাল মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ আহ্বান জানানো হয়। এতে বলা হয়, বর্তমান সহিংস রাজনীতির সুযোগে স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি ট্রাইব্যুনালের প্রধান প্রসিকিউটর গোলাম আরিফ, অন্যতম প্রসিকিউটর তুরিন আফরোজ, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এস কে সিনহাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির বাসাবাড়িতে বোমা হামলা করেছে। এমনকি দণ্ডপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধী দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মামলার বাদী মুক্তিযোদ্ধা মাহবুবুল আলমের পিরোজপুরের বাড়িতেও আক্রমণ চালিয়েছে তারা। এ ছাড়া গণমাধমের কর্মী ও যানবাহনও ছিল নৈরাজ্যকারীদের আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু।এসব নৈরাজ্য বর্তমান রাজনৈতিক অচলাবস্থাকে কেবলই প্রলম্বিত করবে বলে মনে করে ফোরাম। পাশাপাশি সব মহলকে উদ্দেশ্য করে বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, একাত্তরের যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধীদের বিচার বাঙালি জাতির ঐতিহাসিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা। কাজেই এই বিচারপ্রক্রিয়া থেকে বাংলাদেশের পিছিয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই।ঘোষিত তফসিল বাতিল করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাদা দলের শিক্ষকেরা। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত তারা এ কর্মসূচি পালন করেন। বিএনপি-জামায়াতপন্থী এ শিক্ষকেরা একই দাবিতে গত মঙ্গলবার মানববন্ধন করেছে।টাঙ্গাইলে এবার জেএসসি পরীক্ষায় ৪২ হাজার ৪৭৬ জন অংশ নিয়ে পাস করেছে ৩৭ হাজার ৫৬২ জন। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে চার হাজার ৩০১ জন। জেলায় মোট পাসের হার শতকরা ৮৮ দশমিক ৪৩ ভাগ।বিন্দুবাসিনী সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয় এবং বিন্দুবাসিনী সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় ঢাকা বোর্ডে এবার সেরা বিশে যথাক্রমে ১৭তম এবং ২০তম স্থান দখল করেছে। বিন্দুবাসিনী সরকারি বালক বিদ্যালয় থেকে ৩৫২ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ৩৫৪ জন পাস করেছে। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৯৪ জন। বিন্দুবাসিনী সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় থেকে ২৬৫ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সবাই পাস করেছে। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৩১ জন। |
১৯৯৩ সাফ গেমসের সময় নির্মাণ করা হয়েছিল মিরপুর সাঁতার কমপ্লেক্সের ডাইভিংপুল। কিন্তু ত্রুটিপূর্ণ নকশার কারণে এই ২০ বছরেও এই পুলে এ পর্যন্ত কোনো প্রতিযোগিতার আয়োজন করা যায়নি! কিন্তু ডাইভিংপুলটি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ঠিকই প্রতিবছর খরচ হচ্ছে ফেডারেশনের। আর জাতীয় ও বয়সভিত্তিক সাঁতার ফেডারেশনকে ডাইভিংপুল চেয়ে ধরনা দিতে হয় নৌবাহিনী, সেনাবাহিনী বা বিকেএসপির কাছে। এবারের বয়সভিত্তিক সাঁতারে ডাইভিংয়ের তিনটি ইভেন্টের জন্য নৌবাহিনীর কাছে পুল চেয়েও না পেয়ে শেষ পর্যন্ত যেতে হয়েছে বিকেএসপিতে।ডাইভিংপুলের নির্মাণগত ত্রুটি এবং স্প্রিং বোর্ড না থাকায় মিরপুরে প্রতিযোগিতা আয়োজন সম্ভব নয়। সাধারণত একটি আদর্শ ডাইভিংপুলে ১ ও ৩ মিটারের দুটি স্প্রিং বোর্ড বসাতে হয়। এ ছাড়া প্ল্যাটফর্ম বোর্ড বসাতে হয় সাড়ে ৭ ও ১০ মিটারের। কিন্তু মিরপুরে ডাইভিং বোর্ড থাকলেও স্প্রিং বোর্ড নেই। তা ছাড়া ১০ মিটার প্ল্যাটফর্ম বোর্ডের সঙ্গে সাড়ে সাত মিটারের যতটুকু ব্যবধান থাকা উচিত, সেটাও নেই। তাই এখানে স্প্রিং বোর্ড বসালে সাঁতারুদের দুর্ঘটনা ঘটবে। এ জন্য ডাইভিংপুলটি ভেঙে নতুন করে নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক রফিজ উদ্দিন, ‘আমরা চাই, এটি ভেঙে একটা আধুনিক ও মানসম্মত ডাইভিংপুল নির্মাণ করে দিক সরকার।’ এ মর্মে গত মার্চে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ বরাবর একটি চিঠিও দিয়েছেন তিনি। কিন্তু ছয় মাসেও চিঠির কোনো জবাব পাননি।২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে সংঘটিত বিডিআর (বর্তমানে নাম বদলে রাখা হয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ—বিজিবি) বিদ্রোহের মামলায় সুষ্ঠু বিচারের মানদণ্ড লঙ্ঘিত হয়েছে। তাই বাংলাদেশ সরকারের উচিত হত্যা, যৌন নির্যাতন ও অন্যান্য নৃশংসতার দায়ে অভিযুক্ত ৮৪৭ জন জওয়ানের বিচার-প্রক্রিয়া নতুন করে শুরু করা। এই বিচারের রায় নিরপেক্ষভাবে পর্যালোচনা করতে বাংলাদেশ সরকারের উচিত একটি কমিশন গঠনের মাধ্যমে অধিকতর তদন্ত করে নিরপেক্ষ রায় নিশ্চিত করা। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচের (এইচআরডব্লিউ) ওয়েবসাইটে দেওয়া এক বিবৃতিতে গতকাল মঙ্গলবার এ কথা বলা হয়।বিবৃতিতে সংগঠনটির এশিয়াবিষয়ক পরিচালক ব্রাড অ্যাডামস বলেন, বড় একটি আদালতকক্ষে কয়েক শ ব্যক্তির একসঙ্গে বিচার করা হয়, যেখানে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা তাঁদের আইনজীবী নিয়োগের সুবিধা খুব কমই পেয়েছেন। কেউ কেউ তা পাননি। এটি বিচার-প্রক্রিয়া আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। বিদ্রোহের ঘটনায় হতাহতদের পরিবারগুলোর প্রতি সুবিচার নিশ্চিত করতে কর্তৃপক্ষের উচিত অবিলম্বে সুষ্ঠু বিচারের ব্যবস্থা করা।হিউম্যান রাইটস ওয়াচের বিবৃতিতে সুষ্ঠু বিচারের মানদণ্ড লঙ্ঘিত হওয়ার বিষয়গুলো সুস্পষ্টভাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এতে বলা হয়, অভিযুক্ত ব্যক্তিরা নিরাপত্তা হেফাজতে থাকার সময় নির্যাতন ও অন্য অনেক ধরনের অবমাননার শিকার হয়েছেন। এ সময় স্বীকারোক্তি আদায় করতে গিয়ে তাঁদের অনেকের ওপর অকথ্য নির্যাতন করা হয়েছে। এতে অন্তত ৪৭ জন জওয়ান নিরাপত্তা হেফাজতে মারা যান। আটক অন্য জওয়ানদেরও আইনি সুবিধা দেওয়া হয়েছে খুবই কম। সংগঠনটি বিডিআর জওয়ানদের ওপর এমন নির্যাতনের তথ্যসংবলিত ৫৭ পৃষ্ঠার একটি প্রতিবেদন ২০১২ সালের জুলাইয়ে প্রকাশ করে। এর পরও বেশ কয়েকটি বিবৃতি দিয়েছে তারা।বিবৃতিতে বলা হয়, ওই বিদ্রোহের অল্প কিছুদিন আগেই দেশটির নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন শেখ হাসিনা। বিদ্রোহ দমনে তিনি সমঝোতার আশ্রয় নেন। বিদ্রোহী জওয়ানরা আত্মসমর্পণের পর তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে ছয় হাজারের বেশি জওয়ানকে গ্রেপ্তার করা হয়।বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় গুলিতে নিহত যুবদল নেতা ইউসুফ আলীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ। গত বুধবার শাজাহানপুর থানায় করা মামলায় ইউসুফকে ২ নম্বর আসামি করা হয়েছে। ইউসুফ বগুড়া পৌরসভার ২১ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।শাজাহানপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আ ন ম আবদুল্লাহ আল হাসান দাবি করেন, পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে ইউসুফ মারা গেলেও ঘটনার সময় তিনি পুলিশের ওপর হামলা করেছিলেন। তাই মামলায় তাঁকে আসামি করা হয়েছে। এতে আইনগত কোনো বাধা নেই। প্রয়োজনে তদন্ত শেষে তাঁর নাম বাদ দেওয়া হবে।তবে বগুড়ার আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) হেলালুর রহমান জানান, আইনগতভাবে মৃত ব্যক্তিকে আসামি করার সুযোগ নেই। তবে বাদীর অজ্ঞাতে কোনো মৃত ব্যক্তিকে আসামি করা হয়ে থাকলে অভিযোগপত্র দাখিলের সময় তাঁর নাম বাদ দিতে হবে।নয় বলে দরকার ছিল ১৭ রান। হাতে ১ উইকেট। কঠিন কাজ। তবু বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল একটু অনিশ্চয়তায় ছিল। যদি ছয় নম্বরে নামা ৫২ রানে অপরাজিত নাসির আহমাদজাই জিতিয়ে দেন আফগানিস্তানকে! তবে ৮ বল বাকি থাকতেই দলকে ১৫৩ রানে রেখে আহমাদজাই রানআউট হয়ে যান। সঙ্গে সঙ্গেই উচ্ছ্বাসে ভাসে বাংলাদেশ যুব দল। অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের লো স্কোরিং ম্যাচটা কাল ১৬ রানে জিতেছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের পক্ষে দুটি করে উইকেট নেন মেহেদি হাসান ও মুস্তাফিজুর রহমান। এর আগে টসে হেরে ব্যাটিং নেওয়া বাংলাদেশ শুরু থেকেই নিয়মিত উইকেট হারিয়ে ৪৫.১ ওভারে অলআউট হয় মাত্র ১৬৯ রানে। সর্বোচ্চ ৫৮ রান করেন নাজমুল হোসেন। পরশু টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে মালয়েশিয়াকে ৯ উইকেটে হারিয়েছিল বাংলাদেশের যুবারা। গ্রুপ ‘বি’তে দুই ম্যাচে চার পয়েন্ট নিয়ে বাংলাদেশ এখন সবার ওপরে। আগামীকাল গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা। |
হিমোফিলিয়া সোসাইটি অব বাংলাদেশের (এইচএসবি) উদ্যোগে গতকাল শনিবার যশোরের জেনারেল হাসপাতালে বিনা মূল্যে ৩০ জন হিমোফিলিয়া (জন্মগত রক্তক্ষরণজনিত রোগ) রোগীকে চিকিৎসা পরামর্শ ও ওষুধ দেওয়া হয়েছে।এ উপলক্ষে জেনারেল হাসপাতালের সভাকক্ষে গতকাল একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তৃতা করেন যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ এনায়েত করিম ও যশোরের সিভিল সার্জন আতিকুর রহমান খান।ব্রিটেন-বাংলাদেশ সর্বদলীয় পার্লামেন্টারি কমিটির চেয়ার কনজারভেটিভ পার্টির অ্যান মেইন এমপি বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতি পর্যবেক্ষক দল পাঠানোর আহ্বান জানিয়েছেন।সদ্য সমাপ্ত ইউরোপীয় সরকারপ্রধানদের বৈঠক সম্পর্কে গত সোমবার হাউস অব কমন্সে প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন একটি বিবৃতি দেন। এ সময় অ্যান মেইন প্রধানমন্ত্রীর কাছে জানতে চান বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও সবার অংশগ্রহণমূলক করার বিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ওই বৈঠকে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না। তিনি বাংলাদেশের নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতি আহ্বান জানান।প্রধানমন্ত্রী ক্যামেরন জানান, বৈঠকে বাংলাদেশের নির্বাচন বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। তবে ব্রিটেন এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন এই নির্বাচনে কী ভূমিকা রাখতে পারে, সে বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী পরে জানাবেন।এদিকে, গত সোমবার ব্রিটিশ পার্লামেন্টের পোর্টক্লিউস হাউসের একটি কমিটি কক্ষে মানবাধিকার সংগঠন নিউ হোপ আয়োজিত ‘ভায়োলেশন অব হিউম্যান রাইটস ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। নিউ হোপ চেয়ারম্যান ফয়েজ উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে অ্যান মেইনসহ বেশ কয়েকজন এমপি বলেন, গণতন্ত্রের স্বার্থে বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চায় ব্রিটেন। তাঁরা বলেন, সব দলের অংশগ্রহণ ছাড়া অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।অ্যান মেইন বলেন, গণতন্ত্রের স্বার্থে বাংলাদেশের জনগণের সদিচ্ছাকে গুরুত্ব দেওয়া জরুরি। বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ যে পদ্ধতিতে নির্বাচন চায়, সে পদ্ধতি অনুসরণ করা উচিত।পাবনা সদর উপজেলার রাজাপুর এলাকায় পাবনা-ঢাকা মহাসড়কে গাড়ি ভাঙচুরের দায়ে চার পিকেটারকে ছয় মাসের কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।গত বুধবার সন্ধ্যায় পুলিশ ওই পিকেটারদের আটকের পর ভ্রাম্যমাণ আদালতে হাজির করলে আদালতের বিচারক জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবু তাহের এ আদেশ দেন। সাজা পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন ঈশ্বরদীর দাশুড়িয়া গ্রামের ইফতেখার মাহমুদ, রাজাপুর গ্রামের আল আমিন হোসেন, গয়েশপুর ইউনিয়নের হামিদপুর গ্রামের আবদুল্লাহ আল মামুন ও সুজানগর উপজেলার সাতবাড়িয়া গ্রামের মাসুম বিল্লাহ। তাঁদের মধ্যে ইফতেখার মাহমুদ, আবদুল্লাহ আল মামুন ও মাসুম বিল্লাহ পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজের ইতিহাস বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। তিনজনই কলেজের কামাল উদ্দিন ছাত্রাবাসে থাকেন। তাঁদের মুক্তির দাবিতে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে কলেজের প্রশাসনিক ভবনের সামনে শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করেন।মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষার (জেএসসি) ফলাফলে ঢাকা বোর্ডের সেরা ২০-এ ময়মনসিংহের দুটি বিদ্যালয় স্থান পেয়েছে। দশম স্থানে আছে বিদ্যাময়ী সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় আর একাদশ স্থানে ময়মনসিংহ জিলা স্কুল। এ দুটি বিদ্যালয়সহ ময়মনসিংহের চারটি বিদ্যালয় থেকে শতভাগ শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছে।বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বিদ্যাময়ী সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় থেকে ২৯৫ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়ে ২৮১ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। পাসের হার শতভাগ। ময়মনসিংহ জিলা স্কুল থেকে ২৭৯ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ২৬০ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। পাসের হার শতভাগ। |
বরগুনার আমতলী উপজেলা শহরে গত শুক্রবার রাতে এক কিশোরী (১৩) অপহরণ ও ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল শনিবার সকালে ওই কিশোরীকে উদ্ধার ও একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।সরকারের উদ্দেশে জামায়াতে ইসলামী বলেছে, এখনো সময় আছে, জনগণের দাবি মেনে নিয়ে দেশকে ভয়াবহ বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা করুন। অন্যথায় জনগণের গণ-আন্দোলনের মুখে পালানোর পথও পাবেন না।জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান গতকাল মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন। গত পাঁচ দিনে ১৬ জন মানুষকে হত্যা, দুই হাজার ৫০০ জনকে আহত, ভ্রাম্যমাণ আদালতে ১৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ও বিরোধী দলের ১৭ হাজার নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রতিবাদ জানিয়ে এ বিবৃতি দেওয়া হয়।বিবৃতিতে বলা হয়, সংবিধানের ১২৩(৩) ধারা অনুযায়ী ২৪ জানুয়ারি ২০১৪ সংসদের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পূর্ববর্তী নির্বাচনকালীন ৯০ দিনের সময় গণনা ২৬ অক্টোবরের পর থেকেই শুরু হয়েছে। ফলে সংশোধিত সংবিধান অনুযায়ী সরকারের মেয়াদ ইতিমধ্যে শেষ হয়ে গেছে। সরকার ও নির্বাচন কমিশন তফশিল ঘোষণার দিন থেকে নির্বাচনকালীন সময় হিসেবে গণনা করার যে ‘অপব্যাখ্যা’ দিয়েছে, তা গ্রহণযোগ্য নয়। বিবৃতিতে জাতীয় সংসদ ভেঙে দিয়ে পদত্যাগ করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।ভালোবাসা কিনে নেওয়া যায় না—এ কথা সবাই স্বীকার করে। কিন্তু যুক্তরাজ্যে নতুন এক গবেষণায় বলা হচ্ছে, অর্থ খরচ করে সুখ কেনা যায়, তবে সেটা একটা নির্দিষ্ট মাত্রা পর্যন্ত সীমিত।ওয়ারউইক বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের দাবি, একটি দেশের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় সুখের পরিমাণও বাড়ে। কিন্তু ক্রমবর্ধমান সম্পদ যদি অতিমাত্রায় উচ্চাকাঙ্ক্ষা তৈরি করে, তাহলে সুখের পরিমাণ কমতে থাকে। আর ব্যাপারটা একপর্যায়ে হতাশার জন্ম দেয়।সমৃদ্ধ দেশগুলোতে এই সুখের সর্বোচ্চ পর্যায় বা মাত্রা প্রায় ২২ হাজার ১০০ ব্রিটিশ পাউন্ড অর্থ বা সমমানের সম্পদ পর্যন্ত নির্ধারণ করেছেন গবেষকেরা। এই মাত্রা অতিক্রমের পর মানুষের সুখের অনুভূতি কমতে শুরু করে। কারণ, ওই পরিমাণ সম্পদ অর্জনের পর ভালো বাড়ি, উচ্চতর মানের শিক্ষা ও ভোগ্যপণ্যের প্রতি আকাঙ্ক্ষা বৃদ্ধির ফলে উদ্বেগ ও মানসিক চাপ তৈরি হয়। পরিণামে সুখ হারিয়ে যায়।গবেষক ইউজেনিও পোর্টো বলেন, বিত্তশালী অনেক দেশেই সুখের একটা পর্যায়ে পৌঁছানোর পর হতাশা তৈরি হয়। যে অর্থনীতি দেশবাসীর মধ্যে উচ্চাকাঙ্ক্ষা জাগায়, তা অবশ্যই সমৃদ্ধ অর্থনীতি। কিন্তু সেখানে মাত্রাতিরিক্ত আকাঙ্ক্ষায় জীবনের সন্তুষ্টি হারিয়ে যেতে পারে। উন্নয়নশীল দেশগুলোতে মানুষের সুখের সর্বোচ্চ মাত্রায় পৌঁছানোর সুযোগ কম। তাই সেই সুখ হারিয়ে যাওয়ার প্রশ্নও আসে না। ইনডিপেনডেন্ট।সিলেট শিক্ষা বোর্ডে জেএসসি পরীক্ষায় পাসের হার ও জিপিএ-৫ দুটোই বেড়েছে। এবার পাসের হার ৯১ দশমিক ১৫ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে পাঁচ হাজার ৭৪৮ জন শিক্ষার্থী।২০১২ সালে পাসের হার ছিল ৯০ দশমিক ৪৫ শতাংশ, জিপিএ-৫ পেয়েছিল এক হাজার ৩৬৪ জন শিক্ষার্থী। এবার জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্র দুই হাজার ৬৮৩ জন এবং ছাত্রী তিন হাজার ৬৫ জন।বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর ৯৭ হাজার ১৫৯ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়। এর মধ্যে পাস করেছে ৯৫ হাজার ২২৭ জন। পাস করা শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্র ৪১ হাজার ৭৯৩ জন এবং ছাত্রী ৫৩ হাজার ৪৩৪ জন।বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. আবদুল মান্নান খান বলেন, সিলেটে ভালো ফলের পাশাপাশি শিক্ষার মানও বেড়েছে। শিক্ষামন্ত্রী, শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে ভালো ফলাফল অর্জন করা সম্ভব হয়েছে। এ ছাড়া এবার প্রথমবারের মতো চতুর্থ বিষয়ের নম্বর যোগ হওয়ায় ভালো ফলাফলে সহায়ক হয়েছে। সিলেটে বোর্ডে সেরাদের তালিকায় এবার প্রথম স্থানে রয়েছে সিলেট ক্যাডেট কলেজ। দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অর্জন করেছে যথাক্রমে সিলেটের জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও ব্লুবার্ড হাইস্কুল।শিক্ষা বোর্ডের অন্তর্ভুক্ত চার জেলার মধ্যে ফলাফলের শীর্ষে রয়েছে সিলেট জেলা। এ জেলায় পাসের হার ৯৩ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে দুই হাজার ৮১২ জন। এরপর রয়েছে সুনামগঞ্জ। এ জেলায় পাসের হার ৯১ দশমিক ৭০ শতাংশ, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬০২ জন। |
কুমিল্লা শহরতলির বালুতুপা এলাকায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যদের ধাওয়া খেয়ে দুর্ঘটনায় তোফাজ্জল হোসেন নামের এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। গতকাল শনিবার দুপুরে ওই ঘটনা ঘটে।তোফাজ্জল হোসেনের (৩৫) বাড়ি চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার নাওহাটি গ্রামে।পুলিশ জানায়, মাদক ব্যবসায়ী সন্দেহে বিজিবির সদস্যরা মোটরসাইকেল আরোহী তোফাজ্জল হোসেনকে কুমিল্লার ভারতীয় সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে ধাওয়া করে বালুতুপার মনাগ্রাম এলাকা পর্যন্ত নিয়ে আসেন। একপর্যায়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশের গাছের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে তোফাজ্জল মোটরসাইকেল নিয়ে পুকুরে পড়ে যান। কুমিল্লা ১০ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অতিরিক্ত পরিচালক মেজর মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘বিজিবির টহল দল কোনো মাদক ব্যবসায়ীকে তাড়া করেনি।’জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদের রাজনৈতিক ও গণমাধ্যমবিষয়ক সচিব সুনীল শুভ রায়কে অব্যাহতি দিয়ে পরে তা প্রত্যাহার করা হয়েছে।জাপার দায়িত্বশীল একাধিক নেতা জানান, সুনীল শুভ রায়ের বিরুদ্ধে সম্প্রতি কিছু অভিযোগ ওঠে। এর পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার রাতে এরশাদ সুনীল শুভ রায়ের অব্যাহতিপত্রে সই করেন। গতকাল মঙ্গলবার সকালে সুনীল শুভের হাতে অব্যাহতির চিঠি পৌঁছানো হয়। পরে জাপার সভাপতিমণ্ডলীর কয়েকজন সদস্যদের মধ্যস্থতায় অব্যাহতিপত্রটি প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।দেশের ৩৫ জন বিশিষ্ট নাগরিক সরকার ও বিরোধী দলের কাছে তিন দফা দাবি জানিয়ে চলমান রাজনৈতিক বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য সত্যিকার উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে তাঁরা বলেছেন, বর্তমান পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে উগ্রবাদী শক্তি গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষ চেতনার ওপর চরম আঘাত হানতে পারে।এই নাগরিকেরা বিরোধী দলের রাজনীতিকদের গ্রেপ্তার না করতে ও গ্রেপ্তারকৃতদের মুক্তি দিয়ে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করার সুযোগ দিতে সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন। অন্যদিকে বিরোধী দলের কাছে দাবি জানিয়ে বলেছেন, বিরোধী দল যেন হরতাল-অবরোধের মতো কর্মসূচি ও সহিংস কার্যক্রম থেকে বিরত থাকে। উভয় দলের কাছে দাবি জানিয়ে তাঁরা বলেছেন আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে বিরোধ দ্রুত মীমাংসা করতে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘সময় দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে, তাই অনতিবিলম্বে এ উদ্যোগ নেওয়ার জন্য আমরা দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানাই।’বিবৃতিদাতাদের মধ্যে আছেন জিল্লুর রহমান সিদ্দিকী, জামিলুর রেজা চৌধুরী, এস এম আল হোসাইনী, এম হাফিজ উদ্দিন খান, এ এস এম শাহজাহান, আবদুল মতিন, আকবর আলি খান, সি এম সফি সামি, রাশেদা কে চৌধূরী, রফিক-উল হক, হামিদা হোসেন, সেলিনা হোসেন, সৈয়দ আবুল মকসুদ, শাহদীন মালিক, ইফতেখারুজ্জামান প্রমুখ। বিশিষ্ট নাগরিকদের পক্ষে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারের স্বাক্ষরে বিবৃতিটি গণমাধ্যমে পাঠানো হয়েছে।বিবৃতিদাতারা মনে করেন, মুখে সংলাপের কথা বললেও আওয়ামী লীগ ও বিএনপি এ ব্যাপারে আগ্রহী নয়। সরকার একতরফা নির্বাচনের দিকে হাঁটছে। নির্বাচন ঠেকানোর জন্য বিএনপি অনিয়মতান্ত্রিক কর্মসূচি পালন করছে। এতে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ছে। এ পর্যন্ত প্রায় ৫০ জন ব্যক্তির অহেতুক প্রাণহানি ঘটেছে, কয়েক হাজার মানুষ আহত হয়েছে, বিপুল সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। দলমত নির্বিশেষে সব নাগরিকের নিরাপত্তা চরমভাবে হুমকির মুখে।বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সরকারের দমন-পীড়নে সংলাপের মাধ্যমে বিরোধ মীমাংসার পথ একেবারে বন্ধ হয়ে যাবে এবং অস্থিরতা আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে। বিবৃতিদাতারা বলেছেন, ‘আমাদের আরও আশঙ্কা যে, উগ্রবাদী শক্তি এমনি পরিস্থিতির সুযোগ গ্রহণ করে শক্তি সঞ্চয় করতে এবং আমাদের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ও ধর্মনিরপেক্ষ চেতনার প্রতি চরম আঘাত হানতে পারে।’ বিজ্ঞপ্তি।শেরপুর সদর উপজেলা কমপ্লেক্সে অবস্থিত উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ে গতকাল রোববার সকাল সাড়ে আটটার দিকে অগুিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে কার্যালয়ের চারটি চেয়ার, একটি ব্যালট বাক্স, একটি টাইপরাইটার মেশিন, কিছু পুরোনো ভোটার তালিকাসহ কাগজপত্র পুড়ে গেছে।সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আইরিন ফারজানা জানান, কার্যালয়ে কর্মরত আনসার সদস্য ও লোকজন চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ধারণা করা হচ্ছে, মশার কয়েল থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। অগ্নিকাণ্ডের কারণ নির্ণয় ও অনুসন্ধানের জন্য রিটার্নিং কর্মকর্তার নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে জেলা প্রশাসক মোহামঞ্চদ জাকির হোসেন, পুলিশ সুপার মেহেদুল করিমসহ র্যাব ও পুলিশ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। |
রাজধানীর মহাখালীর সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট মো. ফরিদ আহম্মদ (৫০) পাঁচ বছর ধরে কিডনি সমস্যায় ভুগছেন। তাঁর দুটি কিডনিই নষ্ট হয়ে গেছে। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অধ্যাপক মাসুম কামালের অধীনে চিকিৎসাধীন। দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ থাকায় তাঁর তিন মেয়ের লেখাপড়া বন্ধের উপক্রম। তিনি নিজেও যথাযথ চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত। এমতাবস্থায়, তাঁর জীবন বাঁচাতে পরিবারের পক্ষ থেকে সমাজের বিত্তবান ও দানশীল মানুষের কাছে সাহায্যের আবেদন করা হয়েছে। সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা: ফরিদ আহম্মদ, সঞ্চয়ী হিসাব নম্বর ০০০০১০০০৫৮৮৫১, অগ্রণী ব্যাংক, আইসিডিডিআরবি শাখা, মহাখালী, ঢাকা। বিজ্ঞপ্তি।যশোর পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম গতকাল মঙ্গলবার রাতে সন্ত্রাসীদের গুলিতে গুরুতর আহত হয়েছেন। তাঁকে মুমূর্ষু অবস্থায় যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।নজরুলকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার প্রতিবাদে আওয়ামী লীগের উদ্যোগে তাৎক্ষণিক শহরে বিক্ষোভ মিছিল করা হয়। তাঁকে লক্ষ্য করে সন্ত্রাসীরা সাতটি গুলি চালায় বলে জানা গেছে। নজরুল যশোর জেলা টায়ার ব্যবসায়ী সমিতির সহসভাপতি। তাঁর বাড়ি শহরের বারান্দিপাড়া এলাকায়। এ প্রতিবেদন লেখার সময় রাতে হাসপাতালে নজরুলের দেহে অস্ত্রোপচার করা হচ্ছিল।প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রাত সাড়ে আটটার দিকে নজরুল শহরের মনিহার এলাকায় তাঁর পুরোনো টায়ার ব্যবসার প্রতিষ্ঠানে বসে ছিলেন। এ সময় মোটরসাইকেলে করে একদল সন্ত্রাসী আকস্মিক তাঁর দোকানে গিয়ে তাঁকে লক্ষ্য করে সাতটি গুলি করে দ্রুত পালিয়ে যায়।ফরিদপুরের নগরকান্দা পৌরসভার মেয়র ও বিএনপির নেতা পলাতক জাহিদ হোসেনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গতকাল বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপক্ষে দুজন সাক্ষ্য দিয়েছেন। জবানবন্দিতে তাঁরা একাত্তরের ৩০ মে নগরকান্দার কোদালিয়া গ্রামের ১৬ জনের হত্যাকাণ্ডের বিবরণ দেন; এর সঙ্গে জাহিদ হোসেন জড়িত ছিলেন।বিচারপতি এ টি এম ফজলে কবীরের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ গতকাল রাষ্ট্রপক্ষের অষ্টম সাক্ষী হাফিজুর রহমান ও নবম সাক্ষী আলাউদ্দিন শেখের জবানবন্দি নেন রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি সাবিনা ইয়াসমিন খান।হাফিজুর রহমান (৫৭) জবানবন্দিতে বলেন, তাঁর গ্রামের বাড়ি নগরকান্দার কোদালিয়া শহীদনগরে (একাত্তরে নাম ছিল কোদালিয়া)। একাত্তরের ৩০ মে সকালে পাকিস্তানি সেনা ও সহযোগী রাজাকারদের সঙ্গে নিয়ে খোকন রাজাকারকে (জাহিদ হোসেন) তিনি গ্রামে ঢুকতে দেখেন। এ সময় মা-বাবাসহ পরিবারের সব সদস্যকে নিয়ে তিনি বাড়ির পাশের একটি খাদে লুকান। রাজাকাররা তাঁদের বাড়িসহ কয়েকটি বাড়ি লুটপাটের পর আগুন ধরিয়ে দেয়। এরপর রাজাকাররা তাঁদের খোঁজাখুঁজি করে। লুকিয়ে থাকা অবস্থায় তাঁর (সাক্ষী) দুই বছরের বোন শিউলি কাঁদতে শুরু করলে রাজাকাররা তাঁদের অবস্থান বুঝে ফেলে এবং তাঁদের ফাঁকা জায়গায় নিয়ে তিন ভাগে ভাগ করে।রাষ্ট্রপক্ষের এই সাক্ষী বলেন, এক ভাগে রাখা হয় নারী ও শিশুদের। অন্য দুই ভাগে কিশোর ও পুরুষদের রাখা হয়। পুরুষদের দিয়ে লুটের মালপত্র বহন করানো হয়। কিশোরদের পাহারা দেয় পাকিস্তানি সেনারা। এ সময় আলাউদ্দিন শেখ (নবম সাক্ষী) যেতে না চাইলে খোকন রাজাকার রাইফেলের বাঁট দিয়ে তাঁর কোমরে সজোরে আঘাত করেন। একপর্যায়ে নারী ও শিশুদের স্থানীয় সাত্তার মিয়ার বাড়ির দক্ষিণ পাশে নিয়ে যাওয়া হয়। একটু পর টানা গুলির শব্দ শোনা যায়। পাকিস্তানি সেনাসহ রাজাকাররা চলে যাওয়ার পর সাত্তার মিয়ার বাড়ির পাশে গিয়ে তিনি ১৬ জনের লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ছিলেন তাঁর দাদি, চাচি, ফুফু, ছোট বোন রোকসানা ও চাচাতো বোন কলি আক্তার। পাশেই আহতাবস্থায় তাঁর মা রহিমা বেগম, বোন শিউলিসহ ছয়জন পড়ে ছিলেন।হাফিজুর রহমান আরও বলেন, পরে তিনি মাদ্রাসার পাশে আফজাল মিয়া ও বাড়ির উত্তর পাশের পাটখেতে আবদুস শুকুর শেখের গুলিবিদ্ধ লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। শুকুর শেখ রাষ্ট্রপক্ষের নবম সাক্ষী আলাউদ্দিন শেখের বাবা।হাফিজুর রহমানের পর জবানবন্দি দেন রাষ্ট্রপক্ষের নবম সাক্ষী। তিনিও জবানবন্দিতে একই ঘটনার বিবরণ দেন।জবানবন্দি শেষে দুই সাক্ষীকেই জেরা করেন আসামিপক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আবদুস শুকুর খান। পরে এই মামলায় পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ৩ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল।জাহিদ হোসেনের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের ১১টি অভিযোগ গঠন করেছেন ট্রাইব্যুনাল। গতকাল পর্যন্ত চার কার্যদিবসে তাঁর বিরুদ্ধে নয়জন সাক্ষ্য দিয়েছেন।চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ: একই ট্রাইব্যুনাল গতকাল বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল টোয়েন্টিফোর, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণস্বাস্থ্যকেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী এবং সাংবাদিক মাহফুজউল্লাহর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগে দেওয়া কারণ দর্শানো নোটিশের বিষয়ে শুনানির জন্য ২৪ ডিসেম্বর দিন পুনর্নির্ধারণ করেন।তবে মাহফুজউল্লাহকে ১ ডিসেম্বর ট্রাইব্যুনালে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।প্রত্যাশার চেয়েও দ্রুত সেরে উঠছেন মেসি। বার্সেলোনার কোচিং স্টাফ তাঁর উন্নতিতে সন্তুষ্ট। আগামী ৫ জানুয়ারিই মাঠে নামতে পারেন মেসি।মেসির চোটের সর্বশেষ পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়েছে গত বৃহস্পতিবার। বার্সার চিকিৎসকেরা পরীক্ষা করে যা দেখেছেন, প্রত্যাশার চেয়েও তা ভালো। তাঁর বাঁ হ্যামস্ট্রিংয়ের চোট পুরোপুরি সেরে গেছে। বাকি শুধু ফিটনেস ফিরে পাওয়া।পুনর্বাসন-প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে মেসি এখনো আর্জেন্টিনায়। নতুন বছরটা রোজারিওতেই উদ্যাপন করে মেসি বার্সেলোনায় ফিরবেন ২ জানুয়ারি। আর ৫ জানুয়ারি এলচের বিপক্ষে শীতকালীন বিরতির পর প্রথম ম্যাচেই মেসিকে মাঠে নামানোর কথা ভাবছেন কোচ জেরার্ডো মার্টিনো।১৭ ম্যাচ শেষে লিগে বার্সেলোনা ও অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের পয়েন্ট সমান ৪৬। বার্সা এগিয়ে গোল ব্যবধানে। ১২ জানুয়ারি এই অ্যাটলেটিকোর বিপক্ষেই বার্সার খেলা। গুরুত্বপূর্ণ সেই ম্যাচে দলের সেরা অস্ত্রটিকে কাজে লাগাতে চান মার্টিনো। সে জন্য ম্যাচ ফিটনেস নিশ্চিত করতেই এলচের বিপক্ষে লিগ ম্যাচ এবং তার তিন দিন পর গেটাফের বিপক্ষে কোপা ডেল রের শেষ ষোলোর ম্যাচে মেসিকে বদলি হিসেবে খেলাতে চান। মেসি হ্যামস্ট্রিংয়ের সর্বশেষ চোটটা পান গত ১০ নভেম্বর রিয়াল বেটিসের বিপক্ষে।সেই থেকে মাঠের বাইরে থাকা মেসিকে বার্সেলোনায় ফিরে পাওয়ার যখন জোর প্রচেষ্টা, তখন ফ্রান্সের গণমাধ্যমে চলছে অন্য এক জল্পনা। মেসির জন্য রেকর্ড ২১০ মিলিয়ন পাউন্ড বা ২৬৭২ কোটি ২০ লাখ টাকার প্রস্তাব দেওয়ার পরিকল্পনা করছে পিএসজি (প্যারিস সেন্ট-জার্মেই)! যা রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে গ্যারেথ বেলের বর্তমান রেকর্ড চুক্তিটার (৮৬ মিলিয়ন পাউন্ড) দ্বিগুণেরও বেশি! বার্সেলোনার সঙ্গে মেসির সর্বশেষ চুক্তিটা ২০১৮ পর্যন্ত। ওয়েবসাইট। |
সর্বকালের অন্যতম সেরা টেনিস খেলোয়াড়, ক্যারিয়ার গোল্ডেন স্লাম (এক বছরে সবগুলো গ্র্যান্ড স্লাম ও অলিম্পিকে সোনা) জয়ের কীর্তি আছে শুধু তাঁরই। ক্যারিয়ারে ২২টি গ্র্যান্ড স্লাম জিতেছেন স্টেফি গ্রাফ। পরে জীবনসঙ্গিনী হয়েছেন আরেক টেনিস গ্রেট আন্দ্রে আগাসির। গার্ডিয়ানকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এই জার্মান কথা বলেছেন নিজের জীবনদর্শন, ভালো লাগা না-লাগা নিয়ে আপনার সবচেয়ে খুশির মুহূর্ত?স্টেফি গ্রাফ: বর্তমানেই আমার সুখ। আন্দ্রে ও বাচ্চাদের সঙ্গে এই সকাল, এই বিকেলটাই আমার জীবন। আপনার কাছে সবচেয়ে বড় ভয়ের কারণ কী?স্টেফি: আমরা যে পৃথিবীটা চেয়েছিলাম সেটা শিশুদের জন্য রেখে যেতে না-পারা। কোন জীবিত মানুষকে আপনি সবচেয়ে বেশি শ্রদ্ধা করেন, কেন?স্টেফি: যে মানুষটাকে আমি সবচেয়ে ভালো চিনি, আন্দ্রে (আগাসি)। নিজের কোন দিকটা আপনাকে পীড়া দেয়?স্টেফি: আমি একটু গদাই লশকরি চালে চলি। আর মানুষের কোন দিকটা আপনাকে কষ্ট দেয়?স্টেফি: বিবেচনাবোধের অভাব। জীবনের সবচেয়ে লজ্জাজনক মুহূর্ত?স্টেফি: যখন মাইক্রোফোনের সামনে দাঁড়াই... স্থাবর সম্পত্তি বাদ দিলে আপনার কেনা সবচেয়ে দামি জিনিস কোনটা?স্টেফি: ১৬ বছর বয়সে নিজের প্রথম পেশাদার ম্যাচে আন্দ্রে যে র্যাকেট দিয়ে খেলেছিল এবং ওর শেষ র্যাকেট, ক্যারিয়ারের শেষ র্যাকেটটা। আপনার সবচেয়ে বড় সম্পদ?স্টেফি: আমার স্মৃতি। চাওয়ার থাকলে কোন ‘সুপার পাওয়ার’টা...স্টেফি: যুদ্ধের বিভীষিকা যদি দূর করতে পারতাম। একই সঙ্গে যে জন্য যুদ্ধ হয় সেটাও বন্ধ করা। আপনার সবচেয়ে প্রিয় বই?স্টেফি: জে আর মোহরিঙ্গারের দ্য টেন্ডার বার । এই বইটা আন্দ্রে ওর স্মৃতিকথায় উল্লেখ করেছে। আপনার সবচেয়ে প্রিয় বিষয়...স্টেফি: মিষ্টি যেকোনো কিছুরই প্রতি আমি ভয়াবহ রকম দুর্বল। নিজের উপস্থিতির কোন দিকটা নিয়ে আপনি বিরক্ত?স্টেফি: কোত্থেকে শুরু করব? আপনার জীবনের শ্রেষ্ঠ চুম্বন?স্টেফি: জীবনের শুরু থেকে যাদেরটা পেয়ে আসছি...বাবা-মার, স্বামীর ও সন্তানদের চুমু। প্রতিটাই আমাকে বেঁচে থাকার প্রেরণা জোগায়। আপনার স্বপ্নের নৈশভোজে কাকে আমন্ত্রণ জানাবেন?স্টেফি: এই সময়ের পাঁচজন ফার্স্ট লেডিকে। কোন শব্দ বা শব্দগুচ্ছ সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করেন?স্টেফি: ‘পরের প্রশ্ন’... যদি অতীতটাকে বদলে দিতে চাইতেন, কোন জিনিসটা বদলাতেন?স্টেফি: ভালো-মন্দ সবকিছু মিলিয়েই এই আমি এখানে এসেছি। সুতরাং ... কখন আপনি শেষ কেঁদেছিলেন? কেন?স্টেফি: গুয়াকামোল (একধরনের মসলাযুক্ত মেক্সিকান খাবার) ও ওয়াসাবি (জাপানি সবজি) খেয়ে। রিল্যাক্স করেন কীভাবে?স্টেফি: নির্জন ঘরে বসে থাকার চেয়ে ব্যস্ত জীবনেই আমি শান্তি খুঁজে পাই। কোন জিনিসটা জীবনটাকে আরও সুন্দর করবে বলে মনে করেন?স্টেফি: থামিয়ে রাখার একটা বাটন। যখন আমি বাচ্চাদের সঙ্গে মজার কিছু উপভোগ করি, সে সময়টাকে যদি থামিয়ে দিতে পারতাম। রাত জাগার কারণ?স্টেফি: আন্দ্রে, আমার বাচ্চারা, আমার ফাউন্ডেশন ও মাঝেমধ্যে কুকুরগুলো। আপনাকে কীভাবে সবাই মনে রাখুক চান?স্টেফি: সুখী, মমতাময়ী মা ও স্ত্রী হিসেবে। জীবনের সবচেয়ে বড় শিক্ষা?স্টেফি: নতুন একটা দিন মানে আপনি যে মানুষটা হতে চান সেটা হতে পারার নতুন একটা সুযোগ। ঠিক এ মুহূর্তে কোথায় থাকতে চান?স্টেফি: আন্দ্রে, বাচ্চা, বন্ধু ও পরিবারের সঙ্গে আমাদের রান্নাঘরের টেবিলে। এটা হুল্লোড়ে, আমুদে ও নির্ভাবনায় থাকার একটা জায়গা। এটা ছাড়া অন্য কোথাও আমি যেতে চাই না।আশা থাকলেও সংলাপের কোনো লক্ষণ দেখছেন না প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে ও তাঁর তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জয় যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফিরেন। তিনি বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের আশা আছে, বিরোধী দল সংলাপে আসবে। কিন্তু এর কোনো লক্ষণ দেখছি না। আমাদের তরফ থেকে দাওয়াত দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু নানা ছুতা দেখিয়ে তারা দাওয়াত ফিরিয়ে দিচ্ছে। আমরা আর কয়বার দাওয়াত দেব।’সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, ‘বিরোধীদলীয় নেত্রী গত শনিবারের মধ্যে আলোচনার জন্য আলটিমেটাম দিয়েছিলেন। তার আগেই আমার মা ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সংলাপের জন্য নিজে ফোন করেছিলেন। তাঁর সঙ্গে রাতের খাবার খাওয়ার দাওয়াত দেন। যাতে এর মাধ্যমে আলোচনার একটা পরিবেশ সৃষ্টি হয়। কিন্তু বিরোধীদলীয় নেত্রী তাঁর এই অনুরোধ রাখেননি। এটা খুব দুঃখজনক।’বিএনপির নেতা তারেক রহমানের সঙ্গে পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই বা জঙ্গিদের যোগাযোগ রয়েছে বলে ভারতীয় একটি পত্রিকায় প্রকাশিত খবরের বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে জয় বলেন, তাঁদের এই জঙ্গি তৎপরতা আশ্চর্যের কিছু না। তাঁর সঙ্গে দাউদ ইব্রাহিমের যোগাযোগ ছিল এটা সবার জানা।বিএনপি-জামায়াত আবার ক্ষমতায় এলে জঙ্গি তৎপরতা বৃদ্ধি পাবে বলে দাবি করে জয় বলেন, ‘তারা ক্ষমতায় এলে শুধু আওয়ামী লীগ নয়, হিন্দু, সুশীল সমাজ সবাইকে মারবে। উড়িয়ে দেবে।’ তিনি আওয়ামী লীগের ‘ভিশন-২০২১’-এর কথা উল্লেখ করে বলেন, যদি ১৫ বছর ধরে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকে। বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে। এই দেশ হবে পরবর্তী মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ড।সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের কোনো পরিকল্পনা তাঁর নেই। তিনি নির্বাচনে দলীয় প্রচারণায় সময় দেবেন।দক্ষিণ আমেরিকার ব্রাজিলের দক্ষিণাঞ্চলে নতুন এক প্রজাতির বনবিড়ালের খোঁজ মিলেছে। গবেষকেরা ডিএনএ অনুক্রম ব্যবহার করে লিওপার্ডাস গাটুলাস নামের প্রজাতিটি শনাক্ত করেন। তিন কেজি ওজনের বিড়ালটি ওই মহাদেশের সবচেয়ে ছোট আকারের বিড়াল প্রজাতিগুলোর একটি। কারেন্ট বায়োলজি সাময়িকীতে এ গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। ব্রাজিলের পোর্তো আলেগ্রে অবস্থিত পনটিফিক্যাল ক্যাথলিক ইউনিভার্সিটি অব রিও গ্র্যান্ড দো সুলের গবেষক এদুয়ার্দো এজিরিকের নেতৃত্বে বিজ্ঞানীরা ওই বনবিড়ালের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করেন। প্রজাতিটির ক্রমবিকাশের ইতিহাস জানার জন্য বিভিন্ন ধরনের আণবিক নির্দেশক ব্যবহার করা হয়। প্রজাতিটি সংকর প্রজনন থেকে বিরত থেকে স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য ধারণ করে বলে গবেষকেরা প্রমাণ পেয়েছেন। বিবিসি। কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলায় বাবা-ছেলের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। পারিবারিক বিরোধের জের ধরে শিশুপুত্রকে হত্যার পর এক বাবা আত্মহত্যা করেছেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। গতকাল রোববার ভোরে পৌর এলাকার নাটাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ওই গ্রামের মোখলেছ মিয়ার মেয়ে রুজিনা আক্তারকে বিয়ে করে সাত বছর ধরে ঘরজামাই ছিলেন সিলেটের মফিজ মিয়া। গত শনিবার রাতেও মফিজ মিয়া সঙ্গে তাঁর স্ত্রী রুজিনার ঝগড়া হয়। এর জের ধরে গতকাল ভোরে মফিজ মিয়া তাঁর একমাত্র ছেলে আরাফাতকে (৫) ঘরের আড়ার মধ্যে ফাঁস লাগিয়ে হত্যার পর নিজেও একইভাবে আত্মহত্যা করেন। |
জানালা দিয়ে নিচের দিকে তাকিয়ে হঠাৎই মনে এল জীবনানন্দ দাশের ‘আকাশের ওপারে আকাশ’। ১৭ হাজার ফুট ওপর দিয়ে উড়ে চলেছে বাংলাদেশ বিমানের এয়ারবাস-৩১০, ঢাকার দিকে। ঢাকা থেকে খুব সম্ভব ১০ মিনিটের দূরত্বে যখন, তখনই সাদা মেঘের রং যেন একটু একটু বদলাতে দেখছি। সাদা মেঘের দল বঙ্গোপসাগর থেকে উড়ে চলেছে হিমালয়ের দিকে।আশ্চর্য, সাদা মেঘের দলকে দেখে মনে মনে বাংলা তারিখ হিসাব করে অনুমান করি, এখন আশ্বিনের মাঝামাঝি। তার মানে শরতেরও শেষ প্রায়। ভাদ্র-আশ্বিন দুই মাস শরৎকাল। শরতের আকাশ যে কত নির্মল নীল, তা শুধু আকাশের নিচে থেকে যেমন দেখা যায়, তেমনি আকাশের ওপর থেকে আরও পরিষ্কার বোঝা যায়। শরৎ নিয়ে ভাবতে ভাবতেই শুনি সিটবেল্ট বাঁধার ঘোষণা। চার-পাঁচ মিনিটের মধ্যেই আমরা মাটি স্পর্শ করব।বিমান এবার মেঘের দেশ ভেদ করে নিচের দিকে নামতে থাকল। ওপর থেকে যে সাদা মেঘের দল দেখছিলাম, এবার মেঘের ভেতরে ঢুকে মনে হলো এরা ওপরে সাদা, ভেতরে ধোঁয়া ধোঁয়া জলকণায় ভরা, এদের ভেতরের রং সাদা নয়, সাদাকালো কিংবা ধূসর। বিমানের জানালা খোলার ব্যবস্থা থাকলে জলভরা মেঘে হাত ভিজিয়ে নেওয়া যেত।এয়ারপোর্ট থেকে বাসায় ফেরার পথে এবার নিচ থেকে শরতের মেঘ দেখার চেষ্টা করছি। না, ওপর থেকে দেখা সেই শুভ্র সাদা মেঘমালার এবার আর চেনা যায় না। ঢাকার ওপরের আকাশ বিপন্ন। ওপরের নির্মল রূপ এখানে মলিন। নানা দূষণে বাতাস ভারী। বিপর্যস্ত পরিবেশের জন্য সাদা মেঘের নিচে একটা মৃদু মলিন আস্তরণ আছে, তাই আমরা অমলিন সেই সাদা মেঘের ভেলাগুলো ঢাকা শহর থেকে দেখতে পাই না।ঢাকার যানজটে বসে শরতের পরিচয় মনে করার চেষ্টা করি। অভিধানে শরৎ হলো সংবৎসর। আগেকার দিনে আশীর্বাদ করা হতো ‘শত শরৎ আয়ু হোক তোমার’। তার মানে শরৎ খুব সুন্দর ঋতু। এই ঋতুতে শারদীয় দুর্গোৎসব হয়। কাশফুলে নদীর চর মোহনীয় হয়ে ওঠে। শিউলি ফুলের গন্ধে শেষ রাতের ঘুম ভেঙে যায়। তীব্র গরমের অত্যাচার এই ঋতুতে নরম হয়ে আসে।আমরা কী সব নিয়ে যেন ব্যস্ত। শরৎ, হেমন্ত, শীত, বসন্ত—কীভাবে কখন যেন চলে যায়। জীবনে ভয়ংকরভাবে অনাবশ্যক অনেক কিছু যোগ হয়েছে। কাশের গুচ্ছ, শিউলি, পদ্ম ফুল, নদীর চর, হালকা হিমভেজা পালংশাক, নতুন লাউয়ের ডগা—এসব এখন শুধুই সাহিত্যের বিষয়!প্রকৃতির যে বৈচিত্র্য আছে, আমরা প্রকৃতির কাছ থেকে যে আনন্দ পেতে পারি, পেতে পারি জীবনের নানা উপচার, তা আর কতটুকু গ্রহণ করি, যা কিনতে হয় না। তাতেই আমাদের অনাগ্রহ। মানুষের ভালোবাসা পাওয়ার জন্য যেমন পবিত্র একটা হূদয় দরকার, তেমনি প্রকৃতিকে ভালোবাসার জন্য পবিত্র দুটি চোখ দরকার। আর কদিন পরই আসবে উত্তুরে হিমেল হাওয়া। হিমেল হাওয়ার আগেই ভাবছি, সদলে যাব যমুনার চরে, দেখব সাদা মেঘমালা আর গুচ্ছ গুচ্ছ কাশফুল। দিগন্তজোড়া কাশফুল। কাশফুলের মতোই সুন্দর হবে আমাদের মন।উপদেষ্টা, জাতীয় পরিচালনা পর্ষদ, প্রথম আলো বন্ধুসভা।নারী আন্দোলনের একটি জোর দাবি জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনসংখ্যা এক-তৃতীয়াংশ বাড়ানো এবং এসব আসনে সরাসরি নির্বাচনের ব্যবস্থা করা। আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে নারী আন্দোলনের এ দাবি পূরণের অঙ্গীকার ছিল। তবে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর গত পাঁচ বছরে এ দাবি বাস্তবায়নের জন্য কোনো উদ্যোগই নেয়নি, বাস্তবায়ন তো দূরের কথা।আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশরতহারে নারীর ক্ষমতায়নের জন্য জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনের সংখ্যা ৩৩ শতাংশে উন্নীত করা হবে বলে বলা হয়। ইশতেহারে ২০২১ সাল নাগাদ ‘কেমন বাংলাদেশ দেখতে চাই’ অংশে সংসদে প্রত্যক্ষ ভোটে নারীর জন্য ১০০ আসন সংরক্ষিত করারও অঙ্গীকার আছে।বর্তমানে জাতীয় সংসদে ৩০০ সাধারণ আসন এবং ৫০টি সংরক্ষিত (পাঁচটি বাড়ায় সরকার) নারী আসন রয়েছে। ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে ১৯ জন নারী সরাসরি নির্বাচিত হন এবং ৪৫ জন সংরক্ষিত আসনে মনোনয়ন পান। এ হিসাবে সংরক্ষিত আসনসহ নারীর অংশগ্রহণ ছিল ১৯ শতাংশ (৬৪ জন)। বর্তমানে ৫০টি সংরক্ষিত আসন নিয়ে নারীর অংশগ্রহণ হয়েছে ২০ শতাংশ।হাইকোর্টের রায়ের ভিত্তিতে ২০১১ সালের ৩০ জুন সংসদে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী গৃহীত হয়। নারীর জন্য সংরক্ষিত আসনসংখ্যা ৪৫ থেকে বাড়িয়ে ৫০ করা হয়। তবে সংসদে সরকারের দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকার পরও সংবিধান সংশোধনীতে সরাসরি নির্বাচনের বিষয় অন্তর্ভুক্ত করেনি সরকার।মহিলা পরিষদের সভাপতি আয়শা খানম বলেন, সরকার তার মেয়াদের শুরুতে এ বিষয়ে বিল উত্থাপন করলে আলোচনার সূত্রপাত হতো এবং পাঁচ বছরে একটি সিদ্ধান্ত হতে পারত। সেটা হলে আগামী নির্বাচনেই সংরক্ষিত আসনের নারীরা সরাসরি নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ পেতেন। কিন্তু সরকার উদ্যোগ না নেওয়ায় সে সুযোগ হারাতে হলো।মহিলা পরিষদ সংরক্ষিত নারী আসনে সরাসরি নির্বাচনসংক্রান্ত একটি বিলের খসড়া ১৯৯৮ সালে তৎকালীন সরকারের কাছে জমা দিয়েছিল। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পরও সংগঠনটি মানববন্ধন, আলোচনা, সেমিনার প্রভৃতির মাধ্যমে সংবিধানের ৬৫-এর ৩ অনুচ্ছেদে সংশোধনী এনে সংরক্ষিত নারী আসনে সরাসরি নির্বাচনের দাবি বারবার পুনর্ব্যক্ত করা হয়। গত বছর মহিলা পরিষদ এ দাবিসংবলিত ১৮ হাজার পোস্টকার্ড সাংসদদের কাছে পাঠায়। প্রধানমন্ত্রী এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীদের কাছে স্মারকলিপিও পাঠানো হয়।মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব তারিক-উল ইসলাম বলেন, বিষয়টি একেবারেই জাতীয় সংসদের এখতিয়ারভুক্ত। সংসদ সংরক্ষিত নারী আসনসংখ্যা ৪৫ থেকে বাড়িয়ে ৫০টি করেছে। এ ছাড়া সরকার জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি প্রণয়ন করে তা বাস্তবায়নের জন্য জাতীয় কর্মপরিকল্পনা চূড়ান্ত করেছে। এ কর্মপরিকল্পনায় দীর্ঘমেয়াদে (নয় বছরের মধ্যে বাস্তবায়নযোগ্য) জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসন ৩৩ শতাংশ বৃদ্ধির জন্য আইন প্রণয়ন ও প্রত্যক্ষ ভোটের ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা আছে। এ ছাড়া রাজনৈতিক দলের ভেতর পর্যায়ক্রমে ৩৩ শতাংশ নারী প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করাসহ অন্যান্য লক্ষ্যও নির্ধারণ করা হয়েছে।কক্সবাজারের রামু বৌদ্ধবিহারে হামলার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে গতকাল বৃহস্পতিবার বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান তোফায়েল আহমদকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রামু হামলার পর থেকে তিনি আত্মগোপনে ছিলেন।পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, গতকাল বেলা ১১টার দিকে তোফায়েল আহমদ উপজেলা পরিষদে নিজ কার্যালয়ে যান এবং সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। খবর পেয়ে কক্সবাজারের পুলিশ সেখানে যায় ও তাঁকে গ্রেপ্তার করে কক্সবাজার নিয়ে আসে।কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. আজাদ মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, তোফায়েল আহমদ রামুর বৌদ্ধপল্লিতে হামলার সঙ্গে জড়িত। হামলা সম্পর্কে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এরপর তাঁকে সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হবে।তবে তোফায়েল আহমদ হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করে সাংবাদিকদের বলেন, তাঁকে পরিকল্পিতভাবে রামুর ঘটনার সঙ্গে জড়ানো হচ্ছে। ২০১২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর রামুতে যখন বৌদ্ধপল্লিতে হামলা চলছে, তখন তিনি লোকজন নিয়ে নাইক্ষ্যংছড়ির ১০টির বেশি বৌদ্ধমন্দিরে পাহারা বসিয়ে রক্ষা করেন। এটা বৌদ্ধ সম্প্রদায়সহ প্রশাসনের সবাই জানে।ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলায় পুকুরে গোসল করা নিয়ে কথা-কাটাকাটির জের ধরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ২৫ জন। গতকাল রোববার দুপুর দুইটার দিকে সোহাগপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।নিহত ব্যক্তিরা হলেন হীরা মিয়া (৫৫) ও শরীফ (১৫)।পুলিশ ও গ্রামবাসী জানান, দুপুর দুইটার দিকে সোহাগপুর গ্রামের মোল্লাবাড়ি ও চৌধুরীবাড়ির দুই দল শিশু-কিশোর ডুব দেওয়ার প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়। এ নিয়ে পরে ওই দুই বাড়ির অভিভাবকদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। সংঘর্ষের সময় টেঁটাবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মোল্লাবাড়ির শাহজাহান মিয়ার ছেলে শরীফ মারা যায়। হাসপাতালে নেওয়ার পথে একই বাড়ির হীরা মিয়ার মৃত্যু হয়।সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। এ সময় মনির হোসেন ও জাহাঙ্গীর মিয়া নামের পুলিশের দুই কনস্টেবল আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ৩০টি কাঁদানে গ্যাসের শেল ও রাবার বুলেট ছোড়ে।সংঘর্ষে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ২৫ জন আহত হন। তাঁদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালসহ স্থানীয় বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে মোল্লাবাড়ির ছয়জন এবং চৌধুরীবাড়ির চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে গতকাল বিকেলে আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম ফারুক বলেন, এ ঘটনায় হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। |
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলায় এক মাদ্রাসাছাত্রীকে উত্ত্যক্তকারী বখাটেকে গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন হয়েছে। গতকাল শনিবার ওই মাদ্রাসার পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী এসব কর্মসূচি পালন করে।গত বৃহস্পতিবার দুই বখাটের হাত থেকে রক্ষা পেতে চলন্ত সিএনজিচালিত অটোরিকশা থেকে লাফ দেয় ওই মাদ্রাসার এক ছাত্রী। এ ঘটনায় পরে একটি মামলা করা হয়। পরে পুলিশ বখাটে জাহেদকে গ্রেপ্তার করে।এদিকে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ কমলগঞ্জ শাখার সভাপতি মুন্না রায় ও সাধারণ সম্পাদক বিলকিস বেগম গতকাল সন্ধ্যায় মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি আহত ওই ছাত্রীকে দেখতে যান। হাসপাতাল থেকে ফিরে এসে তাঁরা জানান, ওই ছাত্রীর মাথার আঘাত গুরুতর। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো দরকার।প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ওই ছাত্রী বৃহস্পতিবার বিকেলে মাদ্রাসা থেকে বাড়ি ফিরতে উপজেলার চৌমুহনায় বাসের জন্য অপেক্ষা করছিল। এ সময় জাহেদ ও তার এক সহযোগী যাত্রীছাউনিতে এসে তাকে উত্ত্যক্ত করতে থাকে। পরে ওই ছাত্রী যাত্রীছাউনিসংলগ্ন প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেয়। সেখানেও বখাটেরা তার পিছু নেয়। তখন ওই ছাত্রী বাসের অপেক্ষা না করে একটি অটোরিকশায় ওঠে। বখাটেরা দুই দিক থেকে অটোরিকশায় উঠে তার শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। একপর্যায়ে ওই ছাত্রী চলন্ত অটোরিকশা থেকে লাফ দেয়।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জাহেদের সহযোগীকে গ্রেপ্তার ও তাদের দুজনের সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে গতকাল বেলা ১১টার দিকে ওই মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা উপজেলা সদরে বিক্ষোভ করে। বিক্ষোভ শেষে তারা উপজেলা চৌমুহনায় মানববন্ধন করে।কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা জানান, অন্য আসামিকে গ্রেপ্তারের জন্য তিনি পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন।থানার ওসি নিহার রঞ্জন নাথ জানান, প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করা হবে।সাম্প্রদায়িকতা-জঙ্গিবাদবিরোধী মঞ্চ মনে করে টানা তিন দিনের হরতালে দেশব্যাপী মানুষ হত্যা, অগ্নিসংযোগ, বোমাবাজি জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি এবং বিপুল সম্পদের ক্ষতি করে দেশে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করা হয়েছে। এর নিন্দা জানিয়ে মঞ্চের নেতারা বিএনপি-জামায়াত নেতৃত্বাধীন ১৮-দলীয় জোটের ডাকা এই হরতালে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।গতকাল মঙ্গলবার বিরোধী মঞ্চের সমন্বয়ক অজয় রায়, যুগ্ম সমন্বয়ক জিয়াউদ্দিন তারেক আলী এবং সদস্যসচিব নূর মোহাম্মদ তালুকদার এক যুক্ত বিবৃতিতে বলেন, মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী সংগঠন জামাত-শিবির আর তাদের নব্য দোসর হেফাজতে ইসলাম বিএনপির কাঁধে ভর করে দেশব্যাপী নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছে। তারা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মানবতাবিরোধী মামলার বাদী মুক্তিযোদ্ধা মাহবুবুল আলমের বাড়িতে আক্রমণ করেছে। মন্ত্রী, সাংসদ, বিশিষ্টজন, প্রধান বিচারপতি ও সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের দুই বিচারপতি এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রধান প্রসিকিউটর গোলাম কিবরিয়া টিপু ও আইনজীবী ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজের বাড়ির সামনে চোরাগোপ্তা হামলা ও বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে তারা সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। কোথাও কোথাও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপরও হামলা চালিয়ে সাম্প্রদায়ি-কতা উসকে দেওয়ারও চেষ্টা করে।বিবৃতিতে মঞ্চের নেতারা অবিলম্বে জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ ও তাদের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার দাবি জানান। বিজ্ঞপ্তি।ঢাকার পর চট্টগ্রামে এল ‘খবরখাদ্য’। প্রথম আলোর ১৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত শিল্পী ওয়াকিলুর রহমানের এই দৃশ্যশিল্পের প্রদর্শনীর উদ্বোধন হবে আজ শুক্রবার সকাল ১১টায় শিল্পকলা একাডেমির গ্যালারিতে। প্রদর্শনী চলবে ২ ডিসেম্বর পর্যন্ত। শিল্পী ওয়াকিলুর রহমান জানান, ‘১৫ বছর ধরে প্রথম আলোতে প্রকাশিত সংবাদগুলো ব্যবহার করা হয়েছে খবরখাদ্যে। দেশের একটি প্রধান দৈনিকের চোখে বাংলাদেশ কেমন তা তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।’প্রদর্শনীর তিন দিন শুক্র, শনি ও রোববার থাকছে চট্টগ্রামের বিভিন্ন শিল্পীর পারফরম্যান্স আর্ট। এই তিন দিন সন্ধ্যা ছয়টা থেকে সাতটা পর্যন্ত পারফরম্যান্স আর্ট পরিবেশন করবেন শিল্পী দিলারা বেগম জলি, শায়লা শারমিন, জয়দেব রোয়াজা, পলাশ ভট্টাচার্য, শারদ দাশ, আফসানা শারমিন, জেসিকা তাসনিম, সুচয়ন পাল, জুবিলি দেওয়ান ও সুমিত চক্রবর্তী। প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত দর্শকদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে এই প্রদর্শনী। ঢাকায় জাতীয় জাদুঘরের নলিনীকান্ত ভট্টশালী প্রদর্শনকক্ষে গত ৯ নভেম্বর থেকে ২২ নভেম্বর পর্যন্ত খবরখাদ্যের প্রদর্শনী হয়।কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলায় গতকাল রোববার হিউম্যান হলারের সঙ্গে সিএনজিচালিত অটোরিকশার সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। একই দিন লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলায় ট্রাকচাপায় এক সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। গত শনিবার শেরপুর সদর উপজেলায় সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও ভটভটির মুখোমুখি সংঘর্ষে কৃষি ব্যাংকের এক কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন।আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর:ভৈরব (কিশোরগঞ্জ): নিহত ব্যক্তিদের পরিবার ও পুলিশ জানায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া রেলওয়ে স্টেশনের গার্ড ফখরুল আলম দীর্ঘদিন ধরে ভৈরব চণ্ডীবের রেলওয়ে কলোনিতে বাস করেন। গতকাল বিকেলে অটোরিকশায় করে তিনি কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর কাছে পৌঁছালে একটি হিউম্যান হলার অটোরিকশাটিকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এতে অটোরিকশাটি উল্টে যায়। হাসপাতালে নেওয়ার পথে ফখরুল মারা যান। আহত হন যানটির আরও তিনজন যাত্রী।লক্ষ্মীপুর: পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, গতকাল দুপুরের পর সাংবাদিক জাকির হোসেন (৩৮) ঢাকা-রায়পুর মহাসড়কে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ পশ্চিম বাজার এলাকা দিয়ে রাস্তা পার হচ্ছিলেন। এ সময় চৌমুহনীগামী একটি ট্রাক তাঁকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই তিনি নিহত হন। তাঁর বাড়ি নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার আমানউল্লাহপুর গ্রামে। তিনি নোয়াখালী থেকে প্রকাশিত জাতীয় নুর পত্রিকার বার্তা সম্পাদক ছিলেন। অপর দিকে, লক্ষ্মীপুর-রায়পুর মহাসড়কের সর্দারবাড়ী এলাকায় সকালে অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তির ছিন্নভিন্ন লাশ রাস্তার ওপর পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় ব্যক্তিরা। খবর পেয়ে সদর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে।শেরপুর: গত শনিবার শেরপুর-নালিতাবাড়ী সড়কে শেরপুর সদর উপজেলার কয়া রোড এলাকায় সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও ভটভটির মুখোমুখি সংঘর্ষে তিনজন আহত হন। গুরুতর আহত অটোরিকশার যাত্রী কৃষি ব্যাংকের নালিতাবাড়ী উপজেলার নয়াবিল শাখার কর্মকর্তা মো. আবদুর রহিম বাবুলকে (৫২) ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে গতকাল সকালে তিনি মারা যান। তাঁর বাড়ি শেরপুর সদর উপজেলার লছমনপুর ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর দড়িপাড়া গ্রামে। |
বিদ্যুতের দাবিতে গতকাল শনিবার বেলা আড়াইটার দিকে ফরিদপুরের ভাঙ্গায় স্থানীয় বণিক সমিতির উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন ব্যবসায়ীরা।প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, মিছিলটি ভাঙ্গার ঈদগাহ এলাকা থেকে শুরু হয়ে বাজার এলাকার চালপট্টিতে গিয়ে শেষ হয়। মিছিল শেষে বক্তব্য দেন বাজার বণিক সমিতির সহসভাপতি মো. আলমগীর ও সদস্য আলম মুন্সি। বক্তারা এলাকায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের দাবি করেন। ভাঙ্গার আবাসিক বিদ্যুৎ প্রকৌশলী এ টি এম ফরিদুল ইসলাম বলেন, প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ সরবরাহ না পাওয়ায় লোডশেডিং হচ্ছে। তবে এ সমস্যার দ্রুত সমাধান হবে। ফরিদপুর অফিসজামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামীর বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আসামিপক্ষের চতুর্থ ও শেষ সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ আজ বুধবার দুপুরের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। দুপুরের পর যুক্তি উপস্থাপনের জন্য সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।বিচারপতি এ টি এম ফজলে কবীরের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১ গতকাল মঙ্গলবার এ আদেশ দেন। আগের দুই দিনের মতো গতকালও আসামিপক্ষের মামলা পরিচালনাকারী আইনজীবীদের কেউ ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন না। আসামিপক্ষের সহযোগী আইনজীবী আসাদউদ্দীন সাক্ষ্য গ্রহণ মুলতবির আরজি জানান। রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি মোহাম্মদ আলী মুলতবির বিরোধিতা করেন। পরে ট্রাইব্যুনাল আদেশে বলেন, ন্যায়বিচারের স্বার্থে আসামিপক্ষকে বুধবার (আজ) সকালে সাক্ষী হাজির করার সুযোগ দেওয়া হলো। তবে মধ্যাহ্ন বিরতির আগেই সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ করতে হবে। বিরতির পর থেকে রাষ্ট্রপক্ষ এই মামলায় যুক্তি উপস্থাপন করবে।এই মামলায় আসামিপক্ষের শেষ সাক্ষী নিজামীর ছেলে মো. নাজিবুর রহমানের জবানবন্দি অসমাপ্ত রয়েছে। বৃহস্পতিবার তিনি ট্রাইব্যুনালে জবানবন্দি শুরু করেন। রোববার থেকে গতকাল পর্যন্ত ১৮-দলীয় জোটের হরতাল ছিল। আসামিপক্ষের মামলা পরিচালনাকারী আইনজীবীরা এ তিন দিন ট্রাইব্যুনালে অনুপস্থিত ছিলেন।চলমান প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিএসসি) পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে রাজধানীর মিরপুর থানায় একটি মামলা করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) মাহাবুবুন নাহার গত বুধবার তথ্যপ্রযুক্তি আইনে এই মামলা করেন।প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শ্যামল কান্তি ঘোষ প্রথম আলোকে এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকেও কথিত প্রশ্নপত্র পাওয়া যাওয়ায় তথ্যপ্রযুক্তি আইনে মামলা করা হয়েছে।২০ নভেম্বর প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা শুরু হয়েছে। কিন্তু শুরুর দিন থেকে ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে বলে অভিযোগ করেন অভিভাবকেরা। এ ঘটনায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এস এম আশরাফুল ইসলামকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।পার্থে টেস্টে একই সঙ্গে শততম ম্যাচ খেলতে নেমেই ইতিহাস গড়েছিলেন ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার দুই অধিনায়ক। অভূতপূর্ব কিছু করার ধারাটা মেলবোর্নেও ধরে রেখেছেন কুক-ক্লার্করা। ইংলিশ অধিনায়ক কুক পরশুই পেরিয়েছেন টেস্টে ৮ হাজার রানের মাইলফলক। কাল এই ক্লাবের নতুন সদস্য হয়েছেন অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক ক্লার্ক। টেস্ট ইতিহাসে এই প্রথম একই ম্যাচে দুজন খেলোয়াড় পেরোলেন ৮ হাজার রানের মাইলফলক। ৮ হাজার ছুঁতে টেস্ট অভিষেকের ৯ বছর ৮১ দিন লেগেছে ক্লার্কের, কুকের লেগেছিল ৭ বছর ৩০০ দিন। অভিষেকের পর সবচেয়ে কম সময়ে ৮ হাজার রান করেছেন কুকই। পার্থের তৃতীয় টেস্টে আগের রেকর্ডটি গড়েছিলেন কেভিন পিটারসেন (৮ বছর ১৪৫ দিন)। |
বাংলাদেশ টেলিভিশনের সাবেক বার্তাপ্রধান হুমায়ুন চৌধুরী (৭৪) গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের আইওয়া অঙ্গরাজ্যে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। আজ রোববার জানাজা শেষে আইওয়ায় তাঁর মরদেহ দাফন করা হবে। তাঁর মৃত্যুতে বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালক ম. হামিদ শোক প্রকাশ করেছেন। বিজ্ঞপ্তি।১০ ট্রাক অস্ত্র আটক ও চোরাচালান মামলায় জামায়াতের নেতা মতিউর রহমান নিজামী, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ পাঁচ আসামির ৩৪২ ধারায় পরীক্ষার শুনানির দিন আজ বুধবার মহানগর দায়রা জজ এস এম মজিবুর রহমানের আদালতে ধার্য রয়েছে। কিন্তু ঢাকায় মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে একই দিন নিজামীর হাজিরার দিন ধার্য থাকায় তাঁকে চট্টগ্রামে আনা হয়নি।চট্টগ্রাম কারাগারের কারাধ্যক্ষ রফিকুল কাদের বলেন, ‘নিজামীকে হাজির করতে আদালত পিডব্লিউ ইস্যু করেছিলেন। কিন্তু যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে নিজামীর হাজিরার দিন ধার্য থাকায় তাঁকে চট্টগ্রামে আনা হয়নি। লুৎফুজ্জামান বাবরসহ মামলার অন্য আসামিরা কারাগারে রয়েছেন।’২০০৪ সালের ১ এপ্রিল নগরের সিইউএফএল জেটিঘাটে ১০ ট্রাক অস্ত্রের চালান ধরা পড়ে। বর্তমানে আসামিদের ৩৪২ ধারায় পরীক্ষা চলছে।হরতাল-অবরোধের কারণে বগুড়ায় ব্যবসা-বাণিজ্যে স্থবিরতা নেমে এসেছে। ব্যবসার জন্য ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন অনেক ব্যবসায়ী। আদমদীঘিতে কমে গেছে ধানের দাম। প্রতি মণ আমন ধানের দাম কমেছে ১০০-১৫০ টাকা। ক্রেতা না থাকায় অনেকে ধান ফেরত আনছেন। আবার টাকার প্রয়োজনে অনেকে পানির দরে ধান বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। এদিকে অবরোধের কারণে উৎপাদন শুরুর তিন দিনের মাথায় নাটোরের দুটি চিনিকল অচল হয়ে পড়েছে। আখ সরবরাহ না থাকায় উৎপাদন বন্ধ রয়েছে।বগুড়া শিল্প ও বণিক সমিতির সহসভাপতি সমীর দত্ত জানান, রাজনৈতিক অস্থিরতায় হরতাল-অবরোধ কর্মসূচির কারণে মালামাল আনা-নেওয়ার কাজ বিঘ্নিত হচ্ছে। সঠিক সময়ে মাল আনতে না পারলে সেই মাল বিক্রি করা নিয়ে সমস্যা হচ্ছে।বাংলাদেশ হোটেল-রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির কেন্দ্রীয় সভাপতি রেজাউল করিম সরকার জানান, তাঁদের হোটেল ব্যবসায় ধস নেমেছে। হোটেলগুলো হরতালের আওতামুক্ত হওয়া সত্ত্বেও অনেক হোটেল ভাঙচুরের শিকার হচ্ছে। হোটেল খোলা থাকলেও মানুষ আতঙ্কে ঘর থেকে বের না হওয়ায় বিক্রি অনেক কমে গেছে।বগুড়ার শোভা এন্টারপ্রাইজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ কিরণ আহমেদ জানান, রাজনৈতিক কর্মসূচির কারণে চট্টগ্রাম থেকে তিনি মাল খালাস করতে পারছেন না। পাশাপাশি ব্যাংকের সুদও গুনতে হচ্ছে।বগুড়া নিউমার্কেট মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন জানান, ব্যাংক থেকে জমানো টাকা তুলে খরচ করতে হচ্ছে।জলেশ্বরীতলা ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এমদাদ হোসেন জানান, আয় না থাকলেও কর্মচারীদের বেতন দিতে হচ্ছে।সম্প্রতি বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার রাধাকান্ত হাট, আদমদীঘি হাট ও ছাতিয়ানগ্রাম হাটে গিয়ে দেখা গেছে, ধানের পর্যাপ্ত আমদানি থাকলেও হাটগুলোতে ক্রেতা নেই।সান্তাহার হাটের ইজারাদার আশরাফুল ইসলাম বলেন, যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় হাটে পাইকার ও সাধারণ ক্রেতার অভাব দেখা গেছে। ফলে একদিকে যেমন কৃষকেরা ক্ষতির সন্মুখীন হচ্ছেন, অন্যদিকে হাটের ইজারাদারেরও লোকসান গুনতে হচ্ছে।সান্তাহার হাটে ধান বিক্রি করতে আসা কৃষক আবদুস সামাদ জানান, অবরোধ শুরুর আগে প্রতি মণ স্বর্ণা-৫ জাতের ধানের দাম ছিল ৮০০ টাকা। অবরোধের কারণে তা ৬৫০-৭০০ টাকায় নেমে এসেছে। টাকার প্রয়োজনে অনেকে বাধ্য হয়েই কম দামে ধান বিক্রি করছেন।সান্তাহার চাল আড়তদার সমিতির সভাপতি আতিকুর রহমান বলেন, অবরোধের কারণে ধানের পাশাপাশি চালের দাম অনেক কমে গেছে। অবরোধের আগে প্রতি বস্তা স্বর্ণা জাতের চাল এক হাজার ৭০০ টাকায় বিক্রি হলেও বর্তমানে ১৫০০-১৫৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।এদিকে নাটোর চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আরশাদ হোসেন জানান, এক লাখ ৬০ হাজার মেট্রিক টন আখ মাড়াই করে ১২ হাজার মেট্রিক টন চিনি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে গত শুক্রবার দুপুরে চলতি বছরের উৎপাদন মৌসুম শুরু হয়। কিন্তু সোমবার রাত থেকে বিভিন্ন সড়কে আখ বহনকারী গাড়ি আটকে দেওয়া হয়। চাষিরাও অবরোধকারীদের হামলার ভয়ে আখ নিয়ে চিনিকলে আসছেন না।এ কারনে গত মঙ্গলবার সকালে চিনিকল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অবরোধ ও হরতাল চলতে থাকলে চিনিকল আর চালু করা সম্ভব হবে না। অথচ উৎপাদন মৌসুম শুরু হওয়ায় কয়েক শ কর্মচারীকে বেতন-ভাতাসহ কারখানা ব্যবস্থাপনা বাবদ প্রতিদিন কয়েক লাখ টাকা পরিশোধ করতে হচ্ছে।নাটোরের নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘আমরা নিজস্ব খামারের আখ দিয়ে উৎপাদন অব্যাহত রাখতে চেয়েছিলাম। কিন্তু রাস্তায় আখ পরিবহনের গাড়ি অবরোধের শিকার হওয়ায় আমাদের সে চেষ্টাও বিফল হয়েছে। গতবারের উৎপাদিত বিপুল পরিমাণ চিনি এখনো অবিক্রীত অবস্থায়পড়ে রয়েছে। এর মধ্যে অবরোধের কারণে অতিরিক্ত ব্যয় হওয়ায় আমরা আরও আর্থিক ঝুঁকির মধ্যে পড়েছি।’চিত্তাকর্ষক উপন্যাসের জগতে ডুব দিলে পাঠকের মস্তিষ্কে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে জৈব পরিবর্তন ঘটে এবং মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। পরিমাপের উপযোগী ওই পরিবর্তন অন্তত পাঁচ দিন পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের এমোরি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নায়ুবিজ্ঞানীদের এক গবেষণার পরিপ্রেক্ষিতে এ তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। গবেষকেরা দেখতে পান, একটি সুখপাঠ্য বই মস্তিষ্ক ও স্নায়ুর মধ্যে যোগাযোগের ধরন বদলে দিতে পারে। মস্তিষ্কের বাঁ দিকের টেম্পোরাল কর্টেক্স অংশে এ ধরনের পরিবর্তন শুরু হয়। বিশেষ এই স্থান মানুষের ভাষাগত দক্ষতা নিয়ন্ত্রণ করে। তা ছাড়া উপন্যাস পাঠের প্রভাবে মস্তিষ্কের আরেকটি অংশেও প্রাইমারি সেন্সরি মোটর পরিবর্তন আসে। আর প্রভাবিত হয় মস্তিষ্কের বিভিন্ন অংশের মধ্যে স্নায়ুতন্তুর সংযোগ। গবেষণায় অংশগ্রহণকারী ২১ জন ছাত্রছাত্রীকে পড়তে দেওয়া হয় রবার্ট হ্যারিস রচিত রহস্য-রোমাঞ্চ কাহিনি (থ্রিলার) পম্পেই। ইনডিপেনডেন্ট। |
বিশিষ্ট লেখক ও গবেষক সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেছেন, দুর্বল শিক্ষানীতির কারণে দেশের শিক্ষাব্যবস্থা হুমকির মুখে। শহরের তুলনায় গ্রামের শিক্ষার্থীরা অনেকাংশেই সুযোগ-সুবিধাবঞ্চিত। নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও তারা মেধার স্বাক্ষর রেখে চলেছে।গতকাল শনিবার দুপুরে কুমিল্লার লাকসামে কৃতী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আবুল মকসুদ ওই সব কথা বলেন। মুদাফরগঞ্জ ইউনিয়নের চিকুনিয়ায় আনছারিয়া ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠানটির মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠান হয়।অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান রশিদ আহমেদ হোসাইনী। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন স্থানীয় সাংসদ মো. তাজুল ইসলাম, সাবেক সাংসদ এ টি এম আলমগীর, ইত্তেফাক-এর প্রধান প্রতিবেদক মনির হায়দার, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ সরওয়ার উদ্দিন সিদ্দিকী প্রমুখ।অনুষ্ঠানে লাকসাম এবং মনোহরগঞ্জ উপজেলার প্রাথমিক ও উচ্চবিদ্যালয়, কলেজ এবং মাদ্রাসাসহ ১৪৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৫৪০ জন মেধাবী শিক্ষার্থীকে নগদ অর্থ, ক্রেস্ট ও সনদপত্র দেওয়া হয়।রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ঘাটের দোকান থেকে গতকাল মঙ্গলবার গোয়ালন্দ শহর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ফজলুর রহমান মোল্লা ওরফে ফজর আলীর (৬৫) লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গত সোমবার মধ্যরাতে দুর্বৃত্তরা তাঁকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে বলে পুলিশ ধারণা করছে।প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ওই ঘাটে আঞ্জুমানে কাদরিয়া খানকা পাক শরিফের প্রবেশপথের সামনে নিজ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান মেসার্স ফজলু স্টোরে প্রতিদিনের মতো রোববার রাতে ঘুমিয়ে পড়েন ফজলুর রহমান। গতকাল সকালে স্থানীয় লোকজন দোকানের একটি ঝাঁপ খোলা দেখে ডাকাডাকি করে কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে ভেতরে উঁকি দিয়ে ফজলুর লাশ পড়ে থাকতে দেখে। পরে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে।পুলিশ সূত্র জানায়, ফজলুর রহমানের লাশের মুখে সাদা টেপ লাগানো ছিল। লাশের গলায় শ্বাসরোধে হত্যার চিহ্ন দেখা গেছে। তাঁর বাড়ি পৌর এলাকার নিলু শেখের পাড়ায়।ফজলুর রহমানের ছেলে আলমগীর হোসেন জানান, তাঁর বাবা কয়েক দিন আগে শহরের জামতলা এলাকায় যৌথ মালিকানার একটি জমি বিক্রি করে এক লাখ টাকা দোকানে নিয়ে রাখেন। দুর্বৃত্তরা ওই টাকা নেওয়ার জন্যই সম্ভবত তাঁকে হত্যা করেছে। কিন্তু টাকাটা দোকানেই পড়ে থাকায় হত্যাকাণ্ড রহস্যজনক মনে হচ্ছে।গোয়ালন্দ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল বাসার বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, অভ্যন্তরীণ কোন্দলে তিনি খুন হতে পারেন। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে তা ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নিহত ফজলুর ছেলে বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেছে।’বগুড়ার সরকারি আজিজুল হক কলেজের অধ্যক্ষ দীপকেন্দ্র নাথ দাসের বাসভবনে ককটেল হামলা-অগ্নিসংযোগ এবং গাড়ি পোড়ানোর ঘটনার প্রতিবাদ এবং নিরাপত্তার দাবিতে গতকাল বৃহস্পতিবার কলেজের শিক্ষকেরা কালো ব্যাজ ধারণ করে মৌন মিছিল নিয়ে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপি দেন।মৌন মিছিল নিয়ে ফেরার পথে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শহরের সাতমাথা-তিনমাথা স্টেশন সড়কের সেউজগাড়ি কাল্ল্যার বাজার এলাকায় পুলিশের উপস্থিতিতে শিক্ষকদের ওপর ককটেল হামলা চালানো হয়েছে। পুলিশ ফাঁকা গুলি ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ে হামলাকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় এবং ঘটনাস্থল থেকে দুজনকে আটক করে। এই হামলার প্রতিবাদে কলেজে ফিরেই শিক্ষকেরা জরুরি সভায় বসেন। শিক্ষক পরিষদ মিলনায়তনে উপাধ্যক্ষ শিরিনা এনামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই সভায় হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করেন শিক্ষকেরা। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে শনিবার থেকে কলেজে কালো পতাকা উত্তোলন এবং অনির্দিষ্টকালের জন্য ‘প্রতীকী’ ক্লাস বর্জন।মিছিলের সামনে থাকা বাংলা বিভাগের প্রধান তৌফিক সিদ্দিকী বলেন, চার-পাঁচজন যুবক অতর্কিতে শিক্ষকদের মিছিল লক্ষ্য করে তিন-চারটি ককটেল নিক্ষেপ করে। বিকট শব্দে তা বিস্ফোরণের পর সংলগ্ন এলাকা ধোঁয়ায় অন্ধকার হয়ে যায়। এ সময় শিক্ষকেরা আতঙ্কে ছোটাছুটি করতে থাকেন। হিসাববিজ্ঞান বিভাগের প্রধান তাইজুল ইসলাম অভিযোগ করেন, নিরাপত্তা চেয়ে বের করা মৌন মিছিলে পুলিশ শিক্ষকদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে।সদর থানার ওসি আবু হায়দার মো. ফায়জুর রহমান বলেন, হামলাকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ ১২টি শটগানের গুলি ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়েছে। ঘটনাস্থল থেকে এরফান আলী ও আরিফ হোসেন নামের দুই তরুণকে আটক করা হয়েছে।কুলার মতো দুটি কান আছে হাতির। শুঁড়টাও তার দেহের মতোই প্রকাণ্ড। কানে শোনে আর শুঁড়ের মাধ্যমে ঘ্রাণ নেয়। শব্দ ও ঘ্রাণের সূক্ষ্ম অনুভূতির জন্য হাতির বেশ খ্যাতি আছে। তাদের দৈনন্দিন কাজে এই দুই ইন্দ্রিয়ের ভূমিকা খুব গুরুত্বপূর্ণ। তবে গবেষকেরা জানিয়েছেন, খাবার খোঁজা, চলাফেরাসহ যেসব কাজে বুদ্ধিমত্তার প্রয়োজন হয়, সেখানে শব্দের চেয়েও ঘ্রাণের ওপরই হাতি বেশি নির্ভর করে। ঘ্রাণের অভিজ্ঞতা থেকে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তগুলো নিয়ে থাকে। যুক্তরাজ্যের কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী যশুয়া প্লটনিকের নেতৃত্বে করা গবেষণাটি সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে অ্যানিম্যাল বিহেভিয়ার সাময়িকীতে। প্লটনিক জানিয়েছেন, ‘গবেষণায় আমরা দেখেছি, সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় অন্য প্রাণীর চেয়ে হাতিই ঘ্রাণকে বেশি গুরুত্ব দেয়।’ ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক। |
নিজেদের মাটিতে বিশ্বকাপ খেলার স্বপ্নটা ক্রমেই ফিকে হয়ে আসছে। শুরুর দিকে ডাক পেলেও এখন আর লুইস ফেলিপে স্কলারির দলে ঠাঁই হচ্ছে না রোনালদিনহোর! অনিশ্চয়তার চাদরে ঢেকে গেল রোনির আরেকটি বিশ্বকাপ খেলার স্বপ্নও। অনুশীলনে উরুতে চোট পেয়েছেন। আগামী ডিসেম্বরে ক্লাব বিশ্বকাপে তাঁর খেলা-না খেলার সম্ভাবনা এখন ৫০-৫০! চোটটা পেয়েছেন গত বৃহস্পতিবার। আইআরএম রিপোর্ট পেয়ে পরশু তাঁর ক্লাব অ্যাটলেটিকো মিনেইরোর চিকিৎসক সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ৩৩ বছর বয়সী প্লে-মেকারের উরুর পেশি ছিঁড়ে গেছে। ডিসেম্বরে মরক্কোয় অনুষ্ঠেয় ক্লাব বিশ্বকাপের আগে ব্রাজিলের ২০০২ বিশ্বকাপ জয়ের অন্যতম নায়ক সেরে উঠতে পারবেন কি না, নিশ্চিত নয়। গত জুলাইয়ে প্যারাগুইয়ান ক্লাব অলিম্পিয়াকে হারিয়ে মিনেইরোকে প্রথম লিবার্তাদোরেস জেতাতে রোনালদিনহোর ছিল গুরুত্বপূর্ণ অবদান। ওই শিরোপাই ব্রাজিলিয়ান ক্লাবটিকে সুযোগ করে দিয়েছে ক্লাব বিশ্বকাপে খেলার। এএফপি।বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮-দলীয় জোটের ডাকা ৬০ ঘণ্টা হরতাল চলাকালে সহিংসতার ঘটনায় দেশের বিভিন্ন স্থানে আরও ১৪টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীসহ প্রায় সাড়ে চার হাজার ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। পুলিশ ও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের পক্ষ থেকে এসব মামলা করা হয়।হরতালে সহিংসতায় জড়িত থাকার অভিযোগ এবং নতুন করে নাশকতা সৃষ্টির আশঙ্কায় বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের ৬০ নেতা-কর্মী-সমর্থককে আটক করেছে পুলিশ। রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে গতকাল মঙ্গলবার দুটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা শিবিরের এক কর্মীকে আটকে পুলিশে দেন।আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর:চাঁদপুর: শহরের পুরানবাজার এলাকায় সোমবার পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে হরতাল-সমর্থকদের সংঘর্ষের ঘটনায় সদর মডেল থানায় তিনটি মামলা হয়েছে। সংঘর্ষের পর পৌর এলাকায় গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করে প্রশাসন।পুলিশের গুলিতে রিফিউজি কলোনির নিহত আরজু হোসেনের (১৪) বাবা মুকবুল হোসেন অজ্ঞাত ৩০০-৪০০ ব্যক্তিকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শামীম ও আবু সাইদ বাদী হয়ে অজ্ঞাত ৬০০-৭০০ ব্যক্তিকে আসামি করে আরও দুটি মামলা করেন। সোমবার রাতে এসব মামলা করা হয়। পুলিশ একজনকে আটক করেছে।আমতলী (বরগুনা): হরতালে পুলিশের কাজে বাধাদান ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে থানায় দুটি মামলা হয়। মামলায় চার শতাধিক ব্যক্তিকে আসামি করা হয়। সোমবার রাতে যুবলীগ নেতা হান্নান ও আমতলী থানার এসআই মো. ইউসুফ বাদী হয়ে এসব মামলা করেন। গতকাল ওই দুই মামলাসহ ৫৪ ধারায় বিএনপির নয় কর্মীসহ ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এসআই মো. ইউসুফ উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. জালাল ফকিরকে প্রধান আসামি করে অজ্ঞাতনামা ১২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।পটিয়া (চট্টগ্রাম): পটিয়ার শান্তির হাটে সোমবার বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে আওয়ামী লীগের সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ দুটি মামলা করেছে। পটিয়া থানার এসআই রাজীব হোসেন দক্ষিণ জেলা বিএনপির সহসভাপতি এনামুল হকসহ ৩১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত এক হাজার ২০০ থেকে ৩০০ ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা করেন। একই ঘটনায় এসআই হুমায়ুন কবির দক্ষিণ জেলা বিএনপির সহসাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিমসহ ৩১ জনের নাম উল্লেখপূর্বক অজ্ঞাত আট শতাধিক ব্যক্তিকে আসামি করে আরেকটি মামলা করেন।নোয়াখালী: চাটখিলে সহিংসতার ঘটনায় এসআই অমিত কুমার বড়ুয়া বাদী হয়ে গতকাল বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের ৭০ নেতা-কর্মীকে আসামি করে মামলা করেন। মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে ১৪ জনকে। ওসি মো. ইব্রাহিম খলিল বলেন, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের গতকাল দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।গজারিয়া (মুন্সিগঞ্জ): আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগে দলটির উপজেলা নেতা এ কে এম তৌহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে বিএনপির ১২ নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৪০-৫০ জনকে আসামি করে মামলা করেন। উপজেলা আওয়ামী লীগের আরেক নেতা এ কে এম বাশার ১৯ জনের নাম উল্লেখসহ ২০-২৫ জন অজ্ঞাতব্যক্তিকে আসামি করে আরেকটি মামলা করেন।ভৈরব (কিশোরগঞ্জ): জেলার কুলিয়ারচর ও ভৈরবে চারটি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে কুলিয়ারচরে তিনটি ও ভৈরবে একটি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীসহ এক হাজার ৩৩ জনকে আসামি করা হয়।গতকাল সকালে কুলিয়ারচর থানার এসআই শাহ আবুল আহাদ সরকারি কাজে বাধাদান ও পুলিশের গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগে একটি মামলা করেন। পুলিশের সদস্যকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে কুলিয়ারচর থানায় একটি এবং ভৈরব থানায় অন্য মামলাটি হয়। মাহাবুবুর রহমান নামে আওয়ামী লীগের আরেক সমর্থক তাঁকে মারধরের অভিযোগে একটি মামলা করেন।পাবনা: সাঁথিয়া উপজেলায় সোমবার রাতে পুলিশ জামায়াতের তিন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন নন্দনপুর ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি আলী মর্তুজা (৩৩), কর্মী আবদুল মজিদ কাজী (২৫) ও হোসেন মোল্লা (৪০)।গোপালগঞ্জ: হরতালে পিকেটিং করার অভিযোগে ছাত্রদলে দুই কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল সকালে শহরের বেদগ্রাম এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। এঁরা হলেন লিজন মোল্লা (২২) ও নয়ন তালুকদার (২১)।পূর্বধলা (নেত্রকোনা): জামায়াত-শিবিরের দুই নেতা-কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। তাঁরা হলেন গোহালাকান্দা ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন (৫০) ও উপজেলা শিবিরের কর্মী মাসুম বিল্লাহ। পুলিশ জানায়, নাশকতা সৃষ্টির আশঙ্কায় তাঁদের আটক করা হয়।চাঁপাইনবাবগঞ্জ: জেলার পাঁচ উপজেলায় সোমবার রাতে অভিযান চালিয়ে বিএনপি ও শিবিরের ১৫ কর্মী-সমর্থককে আটক করেছে পুলিশ। নাশকতা সৃষ্টির আশঙ্কায় তাঁদের আটক করা হয়।ময়মনসিংহ: গৌরীপুর উপজেলায় হরতালে পুলিশের ওপর হামলার চেষ্টার অভিযোগে গতকাল এনামুল হক নামের শিবিরের এক কর্মীকে তিন দিনের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ ছাড়া একই দিন পিকেটিং করার সময় মুক্তাগাছা উপজেলায় বিএনপি ও জামায়াতের চারজন এবং গৌরীপুরে বিএনপির একজনকে আটক করে পুলিশ।নান্দাইল (ময়মনসিংহ): ঝটিকা মিছিল থেকে গত সোমবার সন্ধ্যায় পৌর জামায়াতের নেতা মো. আবদুল হাকিম ভূঁইয়াকে আটক করে পুলিশ। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত তাঁকে দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও দুই হাজার টাকা জরিমানা করেন।পাটগ্রাম (লালমনিরহাট): উপজেলার কাফিরবাজার এলাকা থেকে শিবিরের তিন কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। তাঁরা হলেন ইউনুস আলী (২৩), আবদুল্লাহ আল মামুন (২৩) ও সোহেল রানা (২৪)। অন্যদিকে পাটগ্রাম বাজার থেকে আওয়ামী লীগের কর্মীরা বিএনপির কর্মী সন্দেহে আবদুস সামাদ (৪০) নামের এক ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে।পাবনার চাটমোহর উপজেলার বোথর গ্রামে নিজ ঘরে ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক খালেকুজ্জামানকে (৪১) কুপিয়ে জখম করেছে সন্ত্রাসীরা। গত বুধবার দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দলীয় কোন্দলের জের ধরে এ হামলার শিকার হয়েছেন বলে জানিয়েছেন আহত নেতা।আহত ব্যক্তির পরিবার জানায়, খালেকুজ্জামান রাতে নিজ ঘরে ঘুমিয়েছিলেন। রাত দুইটার দিকে একদল সন্ত্রাসী সিঁধ কেটে ঘরে ঢুকে তাঁকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। তাঁর চিৎকারে বাড়ির লোকজন ও প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। রাতেই খালেকুজ্জামানকে পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খালেকুজ্জামান অভিযোগ করেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়াকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের স্থানীয় সাংসদ (পাবনা-৩) মকবুল হোসেনের সঙ্গে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেনের বিরোধ চলছে। তিনি সাংসদের সমর্থক হওয়ায় সভাপতির লোকজন তাঁর ওপর এ হামলা চালিয়েছেন।আওয়ামী লীগের স্থানীয় সূত্র জানায়, চাটমোহরের বিভিন্ন বিলের মাছ বিক্রির টাকা ভাগাভাগি নিয়ে দলের এই দুই নেতার মধ্যে বিরোধ শুরু হয়। পরে সংসদ নির্বাচনে দুজনই প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিলে বিরোধ চরমে ওঠে।আওয়ামী লীগের নেতা সাখাওয়াত হোসেন অবশ্য বলেন, ‘হামলার সঙ্গে আমার লোকজনের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। বিলের মাছের টাকা ভাগাভাগি নিয়ে সাংসদের লোকদের অভ্যন্তরীণ বিরোধেই এসব ঘটেছে।’ সাংসদ মকবুল হোসেন বলেন, ‘আহত খালেকুজ্জামান আমার খুবই ঘনিষ্ঠ। তাঁর ওপর এই হামলায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।’চাটমোহর থানার ওসি আসাদুজ্জামান মুন্সি বলেন, ‘আহত খালেকুজ্জামান সন্ত্রাসীদের চিনতে পেরেছেন। তিনি আমাদের নামগুলো জানিয়েছেন। আমরা তাঁদের আটকের চেষ্টা করেছি। এ ঘটনায় মামলা দায়েরেরও প্রস্তুতিশেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় পল্লি চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসায় শাকিবা (৪) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শাকিবা উপজেলার নন্নী ইউনিয়নের উত্তরবন্দ গ্রামের ছাইফুল ইসলামের মেয়ে। পুলিশ ও শাকিবার পরিবার সূত্রে জানা গেছে, শাকিবা দুই দিন ধরে জ্বরে ভুগছিল। গত শনিবার সন্ধ্যায় চিকিৎসার জন্য শাকিবাকে নিয়ে বাবা ছাইফুল ইসলাম নন্নী বাজারের চৌধুরী ফর্মেসিতে যান। তখন স্থানীয় পল্লি চিকিৎসক ফিরোজ চৌধুরী মেয়েটির পায়ে দুটি ইনজেকশন দেন। পাশাপাশি তিনি কিছু ওষুধ লিখে দেন। বাড়িতে যাওয়ার পরপরই শিশুটির নাক-মুখ দিয়ে রক্ত পড়তে থাকে। একপর্যায়ে মারা যায় শাকিবা। এ খবর ছড়িয়ে পড়ার পর স্থানীয় লোকজন চিকিৎসকের বাড়ি ঘেরাও করেন। পরে পুলিশ গিয়ে বিচারের আশ্বাস দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।নালিতাবাড়ী (শেরপুর) প্রতিনিধি |
জানো,কাল রাতে আমি খুব একা ছিলাম। খুব একা। সঙ্গীহীন চাঁদটা আমাকে একা পেয়ে খুব গল্প জুড়ে দিতে চেয়েছিল। আমি পাত্তা দিইনি। আমার যেন দায় পড়েছে! নির্লজ্জভাবে বোধহীন অন্ধ চাঁদটা কি দেখেনি আমার মধ্যে আমি তখন আমার একান্ত ভালোবাসাটাকে খুঁজছিলাম?আমি কাল রাতে অনেক রাগ করেছিলাম, অনেক। যতটুকু রাগ ভালোবাসার দুই চোখই অন্ধ করে দেয়। অন্ধ ভালোবাসার মানে তুমি জানো, মৃন্ময়? জানো না। তুমি শুধু জানো কী করে দূরে যেতে হয়। যতটুকু দূরে গেলে আমার ঝাপসা চোখ তোমার হাতকে কাছে টানার বৃথা চেষ্টা করে। যতটুকু দূরে গেলে হাজারবার ভালোবাসি বললেও সেটা তোমার কানে গিয়ে পৌঁছায় না।চন্দ্রাবতী জোছনা আমার অসহ্য লাগে। চাঁদের আলো আমার অস্তিত্বকে পুড়িয়ে ছাই করে। তবু আমি চাঁদের দিকে তাকাই। টলমল চোখে আমার খুব ভাবতে ইচ্ছা করে তুমি এইখানে, এই মাঠের মাঝখানে বসে আমাকে স্পর্শ করছ। আমার অশ্রুতে চাঁদের প্রতিবিম্ব দেখে তুমিও তোমার চোখের জলে চাঁদের প্রতিফলন সৃষ্টি করছ! আমি যাতে তোমার কান্না না দেখি, সে জন্য তুমি মুখ অন্য পাশে ফিরিয়ে রাখবে। অনেকক্ষণ পর হয়তো আস্তে করে ভালোবাসিও বলবে!বিশ্বাস করো, আমি কিন্তু এটা শুনে ফেলব! এই শব্দটা, শুধু এই শব্দটা শোনার জন্য আমি কত অযুত মুহূর্তের প্রতীক্ষা করছি!ইতি,তোমার অতন্দ্রীলাকারাগারে আটক হেফাজতে ইসলামের নেতা ও জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মহাসচিব মুফতি মোহাম্মদ ওয়াক্কাসের ব্যক্তিগত সহকারী রেজাউল করিমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রাজধানীর শান্তিনগর থেকে গত সোমবার রাতে পল্টন থানার পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে।দলীয় সূত্র জানায়, রেজাউল করিম জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক। পল্টন থানার পুলিশ গতকাল মঙ্গলবার মুখ্য মহানগর হাকিম এরফান উল্লাহর আদালতে রেজাউল করিমকে হাজির করে তাঁকে হেফাজতে ইসলামের নড়াইল জেলা কমিটির সদস্যসচিব দাবি করে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করে। রেজাউলের আইনজীবীরা তাঁর বাড়ি খুলনায় দাবি করেন। শুনানি শেষে আদালত রিমান্ডের আবেদন নামঞ্জুর করে তাঁকে জেলগেটে একদিন জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেন। পরে তাঁকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগে মন্ত্রিত্ব হারানো সৈয়দ আবুল হোসেনের সমর্থকেরা গতকাল বৃহস্পতিবার মাদারীপুরের কালকিনিতে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের কার্যালয় ভাঙচুর, সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ করেছেন।মাদারীপুর-৩ (সদর ও কালকিনি) আসনের বর্তমান সাংসদ সৈয়দ আবুল হোসেনকে বাদ দিয়ে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়ার গুজব ছড়িয়ে পড়লে ওই তাণ্ডব চালানো হয়।আবুল হোসেনের সমর্থক নেতা-কর্মীরা জানান, সন্ধ্যার মধ্যে কালকিনির বিভিন্ন নেতা-কর্মীর মুঠোফোনের মাধ্যমে খবর ছড়ায় যে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাদারীপুর-৩ আসনে সৈয়দ আবুল হোসেন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাচ্ছেন না।আবুল হোসেনকে বাদ দিয়ে বাহাউদ্দিন নাছিমকে মনোনয়ন দেওয়া হচ্ছে। এ খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে সন্ধ্যা সাতটার দিকে নেতা-কর্মীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে একটি মিছিল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের কার্যালয় ভাঙচুর করেন।বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেলের তত্ত্বাবধায়ক মো. নূর-এ-আলমের বাসা রাজধানীর উত্তরখানে। বাসে চড়েই দৈনিক যাওয়া-আসা তাঁর। তবে গতকাল রোববারের ঘটনা ছিল ব্যতিক্রম। নূর-এ-আলম বাসা থেকে হেঁটে আসেন আবদুল্লাহপুর বাসস্ট্যান্ডে। ৩০ টাকা ভাড়া দিয়ে ব্যাটারিচালিত রিকশায় পৌঁছান বিমানবন্দরে। এরপর ভ্যানে চড়ে খিলক্ষেতে। গুনতে হয় ৫০ টাকা। খিলক্ষেত থেকে আরও ৫০ টাকা ভাড়া দিয়ে অটোরিকশায় আসেন মহাখালী পর্যন্ত। উঠে পড়েন রিকশায়। রিকশাওয়ালা নামিয়ে দেন ফার্মগেট, নেন ৫০ টাকা। এরপর আর কোনো যানবাহন না পেয়ে হেঁটে পৌঁছান শাহবাগের কর্মস্থলে।নূর-এ-আলম বলেন, ‘একগাদা টাকা গেছে। হাঁটতেও হয়েছে। আবার তল্লাশিরও মুখোমুখি হতে হয়েছে।’ তিনি আরও বললেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে বড় দায়িত্ব পালন করতে হয়। কষ্ট হলেও না এসে উপায় নেই।’নূর-এ-আলম কাজে এলেও অনেকেই অনুপস্থিত ছিলেন। দুই বিভাগের দুজন চিকিৎসককে খোঁজ করে পাওয়া যায়নি। তাঁদের একজন থাকেন উত্তরায়, অন্যজন সাভারে। তাঁরা ছুটিও নেননি। তাঁদের সহকর্মীরা বলেছেন, পথের ঝামেলা এড়াতেই তাঁরা অনুপস্থিত।বিরোধী দলের ডাকা ‘গণতন্ত্র অভিযাত্রা’ বানচাল করার জন্য সরকারের নির্দেশে রাজধানীতে গণপরিবহন ব্যবস্থা বন্ধ রাখা হয়। মানুষের মনে ছিল আতঙ্ক। বেশির ভাগ সড়ক ছিল ফাঁকা। চাকরি বা জরুরি কাজ ছাড়া মানুষ ঘর থেকে বের হয়নি। শিশুদের রাস্তায় কম দেখা গেছে। বিভিন্ন সড়কে ছিল লাঠি-পতাকা হাতে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের উপস্থিতি।বেলা দুইটার দিকে বায়তুল মোকাররম এলাকার সব দোকানপাট বন্ধ দেখা যায়। মতিঝিল এলাকায়ও ছিল অভিন্ন চিত্র। ছোটখাটো সব দোকান বন্ধ করে দেয় পুলিশ। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা চা খেতে নিচে নেমেছিলাম। কিন্তু পুলিশ আমাদের দাঁড়াতেই দেয়নি।’এই কর্মকর্তার অধীন একজন অফিস সহকারী ও উচ্চমান সহকারী গতকাল কাজে আসতে পারেননি। একজনের বাসা গাজীপুরে, অন্যজনের নারায়ণগঞ্জে।বুড়িগঙ্গা নদীতে নৌকা চলাচলে বাধা দেন পুলিশ ও ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীরা। কেরানীগঞ্জ এলাকায় বুড়িগঙ্গা নদীতে প্রায় ১০০টি খেয়াঘাট রয়েছে।এসব ঘাটে সহস্রাধিক মাঝি ও নৌকা রয়েছে। পুলিশ ও ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীদের বাধার কারণে নৌকা চলাচল বন্ধ রাখেন মাঝিরা। সদরঘাট খেয়াঘাটের মাঝি মোহাম্মদ হোসেন বলেন, ‘পেটের তাগিদে নৌকা নিয়ে বের হয়েছিলাম, কিন্তু নৌকা চালাতে পারিনি। পুলিশ আমার বৈঠা কেড়ে নিয়েছে।’সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে গোপীবাগ এলাকার বাসিন্দা মহসিন বলেন, ‘গতকাল রাতে আমার দাদি মারা গেছে। আমরা গ্রামের বাড়ি (চাঁদপুরের কচুয়ায়) যাব বলে টার্মিনালে এসেছি। এখানে এসে দেখি টার্মিনালে লঞ্চ নেই। এখন যদি যেতে না পারি, তবে শেষবারের মতো দাদির মুখটি দেখতে পারব না।’আশঙ্কার কারণে অনেক বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাজে আসা থেকে বিরত থাকতে বলেছেন। নর্দ্দায় থাকেন একজন প্রকৌশলী। চাকরি করেন গুলশান-২-এ একটি জার্মান প্রতিষ্ঠানে। কর্তৃপক্ষ বলেছে ঝুঁকি নিয়ে কাজে আসার দরকার নেই। জরুরি কাজ ই-মেইলে পাঠাতে বলেছে। অন্যদিকে মিরপুরে পরিবেশ নিয়ে কাজ করেন, এমন একটি এনজিওর নির্বাহী পরিচালক জানিয়েছেন, নিরাপত্তার কারণে নারী কর্মচারী-কর্মকর্তাদের কাজে আসতে তিনি নিষেধ করেছেন।বেলা তিনটায় মতিঝিল শাপলা চত্বরে কথা হয় বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তা এ কে এম সিরাজুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি রাস্তায় অপেক্ষা করছিলেন দুই সহকর্মীর জন্য। তাঁরা একসঙ্গে মিরপুরে ফিরবেন। অটোরিকশা ভাড়া ভাগাভাগি করবেন। ‘এত আগে অফিস ছাড়ছেন কেন?’ এমন প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ‘সন্ধ্যার সময় রাস্তায় অনেক ঝুঁকি। যত আগে যাওয়া যায়, তত নিরাপদ।’ |
বিশিষ্ট পার্লামেন্টারিয়ান ও আওয়ামী লীগের নেতা সুধাংশু শেখর হালদারের নবম মৃত্যুবার্ষিকী আজ ২৯ সেপ্টেম্বর। এ উপলক্ষে আজ পিরোজপুরের নাজিরপুরের ঘোষকাঠীতে সুধাংশু শেখর হালদার টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউটে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। এ ছাড়া রাজধানীর ফরাশগঞ্জ অনাথ আশ্রমে খাবার বিতরণ, টিকাটুলী জগদ্বন্ধু মহাপ্রকাশ মঠে বিশেষ পূজাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি।মুসলিম এইড-ইউকে বাংলাদেশ গত সোমবার উৎসাহ, উদ্দীপনা ও আনন্দময় পরিবেশে মুসলিম এইড দিবস পালন করে। ওয়াটার স্যানিটেশন অ্যান্ড হাইজিন কর্মসূচি এ বছর এই প্রতিপাদ্যনির্ভর দিনটি পালন করে। এ বছর দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল ‘জীবনের জন্য পানির গুরুত্ব’।সরকারের পাশাপাশি মুসলিম এইড বাংলাদেশে ২০১৫ সালের মধ্যে শতভাগ পয়োনিষ্কাশন নিশ্চিত করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশে ১৯৯১ সাল থেকে মুসলিম এইড কাজ করছে।মুসলিম এইডের এ দেশীয় পরিচালক মোহাম্মদ ওবায়দুর রহমান বলেন, যেহেতু বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর দিন দিন নিচে নেমে যাচ্ছে, সেহেতু সুপেয় পানি দুষপ্রাপ্য হয়ে উঠেছে। মুসলিম এইডের চেয়ারম্যান মানাজির আহসান তাঁর শুভেচ্ছাবাণীতে বলেন, বিশুদ্ধ খাবার পানি, পয়োনিষ্কাশন ও পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করা যেকোনো মানুষের একটি অধিকার। বিজ্ঞপ্তি।রাজশাহীর বাগমারায় আলোচিত খয়রা বিলের দখলদারেরা গতকাল বৃহস্পতিবার এক জেলেকে গুলি করে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিহত জেলে আশরাফুল ইসলাম (২৮) শ্রীপুর গ্রামের জাবেদ আলীর ছেলে।জাবেদ আলী অভিযোগ করেন, বিল দখলদার শ্রীপুর ইউপি চেয়ারম্যানের লোকজন তাঁর ছেলেকে গুলি করে হত্যা করেছে।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকেলে বিলে স্থানীয় জেলেরা মাছ ধরছিলেন। খবর পেয়ে বিলের দখলদার শ্রীপুর ইউপির চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মকবুল হোসেনের পক্ষের ১০-১২ জন সশস্ত্র লোক দুটি ইঞ্জিলচালিত নৌকা নিয়ে বিলের খামারপাড়া নামক স্থানে আসে। তারা জেলেদের লক্ষ্য করে রিভলবার ও শটগান থেকে কমপক্ষে ২০টি গুলি ছোড়ে। এতে আশরাফুল গুলিবিদ্ধ হন। আশরাফুলকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সন্ধ্যায় তিনি মারা যান।যোগাযোগ করা হলে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেন চেয়ারম্যান মকবুল হোসেন। পুলিশ সুপার আলমগীর কবির বলেন, ‘জেলে মারা যাওয়ার খবর পেয়েছি। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’মকবুল হোসেন, দ্বীপপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ওয়াজেদ আলীসহ আওয়ামী লীগ ও বিএনপির স্থানীয় প্রভাবশালী নেতারা মিলে ওই বিল দখল করে মাছ চাষ করেন। স্থানীয় জেলেরাও বিলে মাছ ছাড়েন। এ নিয়ে একাধিকবার সংঘর্ষ ও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে প্রশাসন বিলে ১৪৪ ধারা জারি করে।রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষার ফলাফলে মেধা তালিকায় এবার বগুড়ার বিদ্যালয়গুলোর জয়জয়কার। মেধাতালিকার প্রথম থেকে পঞ্চম স্থানসহ বোর্ডের সেরা ২০টি প্রতিষ্ঠানের সাতটিই বগুড়ার।ফলাফলে দেখা গেছে, বগুড়া ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ বোর্ডের মেধাতালিকার প্রথম, বগুড়া জিলা স্কুল দ্বিতীয়, বগুড়া সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় তৃতীয়, বিয়াম মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ চতুর্থ এবং আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়ন পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ পঞ্চম স্থানে রয়েছে। এ ছাড়া বগুড়ার পল্লী উন্নয়ন একাডেমি ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ বোর্ডে ১৬তম এবং এসওএস হারম্যান মেইনর স্কুল অ্যান্ড কলেজ ১৯তম স্থান অর্জন করেছে।রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড সূত্র জানায়, বোর্ডের সেরা ২০-এর মধ্যে গতবারের মেধাতালিকায় তৃতীয় স্থানে থাকা বগুড়া ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবার প্রথম স্থান পেয়েছে। এ প্রতিষ্ঠান থেকে ২৯১ জন শিক্ষার্থীর সবাই উত্তীর্ণ হয়েছে। তাদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৮৭ জন।প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ লে. কর্নেল শেখ শরিফুল ইসলাম বলেন, এই সাফল্যের পেছনে শিক্ষকদের নিরলস প্রচেষ্টা, শিক্ষার্থীদের পরিশ্রম এবং অভিভাবকদের সচেতনতা কাজ করেছে।এদিকে গতবার চতুর্থ স্থানে থাকা বগুড়া জিলা স্কুলও দুই ধাপ এগিয়ে এবার বোর্ডে দ্বিতীয় হয়েছে। বিদ্যালয়ের ২৫৪ পরীক্ষার্থীর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৪৫ জন।জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক রমজান আলী বলেন, লক্ষ্য ছিল বোর্ডে প্রথম হওয়া। কিন্তু সাম্প্রতিক বগুড়ার রাজনৈতিক অস্থিরতা ও ঘন ঘন হরতাল-অবরোধের কারণে সেই সাফল্যে পৌঁছানো যায়নি। শহরের প্রাণকেন্দ্রে বিদ্যালয়ে অবস্থিত হওয়ায় শিক্ষার্থীদের প্রস্তুতিমূলক পাঠদান ব্যাহত হয়েছে।বগুড়া সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় এবার দুই ধাপ এগিয়ে তৃতীয় অবস্থানে উঠে এসেছে। এ বিদ্যালয় থেকে ২৩৮ পরীক্ষার্থীর সবাই পাস করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৩৬ জন।সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাবেয়া খাতুন বলেন, ‘বোর্ডের মেধাতালিকার প্রথম স্থান থেকে গত বছর চার ধাপ ছিটকে আমরা পঞ্চমে গিয়েছিলাম। এবার দুই ধাপ এগিয়ে তৃতীয় অবস্থানে উঠেছি। সামনে আমাদের একটাই লক্ষ্য, মেধাতালিকায় প্রথম হওয়া।’বিয়াম মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবার দুই ধাপ এগিয়ে মেধাতালিকায় চতুর্থ স্থানে উঠে এসেছে। এ বিদ্যালয় থেকে এবার ২৭১ পরীক্ষার্থীর শতভাগই পাস করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৫১ জন।তবে বোর্ড সেরা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে তুলনামূলক ভালো ফলাফল করেছে বগুড়ার আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন স্কুল অ্যান্ড কলেজ। এবার প্রতিষ্ঠানটি তিন ধাপ টপকে পঞ্চম অবস্থানে উঠে এসেছে। এ বছর প্রতিষ্ঠান থেকে ২৩৭ পরীক্ষার্থীর শতভাগ পাসসহ জিপিএ-৫ পেয়েছে ২২১ জন। |
ময়মনসিংহের নান্দাইলে ভিজিডি কার্ডধারীদের জন্য বরাদ্দ করা গম উত্তোলন করতে অনীহা প্রকাশ করছেন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানরা। কয়েকজন চেয়ারম্যানের অভিযোগ, খাদ্যগুদাম কর্তৃপক্ষ তাঁদের পোকায় খাওয়া গম দিতে চাইছে।বৃহস্পতিবার খারুয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. আবুল খায়ের গম উত্তোলন না করেই ফিরে যান। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘গমের যে মান দেখলাম, তা মানুষের খাওয়ার উপযোগী হতে পারে না।’নান্দাইল সদর ইউপি চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘ওই গম উত্তোলন করলে দরিদ্র মানুষের তোপের মুখে পড়তে হতে পারে।’ রাজগাতী ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফুল ও বেতাগৈর ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হোসেনও একই ধরনের মন্তব্য করেন। ভারপ্রাপ্ত খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা মো. হারুন অর রশিদ বলেন, গুদামে সারিবদ্ধ করে রাখা বস্তার ওপরের দিকে কিছুটা পোকায় ধরেছে। ভেতরে থাকা বস্তার গমের মান ভালো।উপজেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রক জয়নূল আবেদীন বলেন, দেড় বছর ধরে সংরক্ষিত এই গমের মান ভালো রয়েছে। একটি মহল গুজব ছড়িয়ে ইউপি চেয়ারম্যানদের বিভ্রান্তিতে ফেলেছেন।সৈয়দ রফিকুল হক সম্প্রতি মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের (এমটিবি) উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) হিসেবে যোগদান করেছেন। এর আগে তিনি ইস্টার্ণ ব্যাংকে করপোরেট ব্যাংকিংয়ের এরিয়া-প্রধান ছিলেন। তিনি ১৯৯৮ সালে ইস্টার্ণ ব্যাংকে যোগদান করেন। রফিকুল হক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ব বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম সৈয়দ মাজহারুল হক ও বেগম হালিমা হকের জ্যেষ্ঠ ছেলে। বিজ্ঞপ্তি।কোচিং সেন্টারে পড়তে আসা স্কুলছাত্রীদের উত্ত্যক্ত ও মুঠোফোনে খুদে বার্তা পাঠিয়ে অভিভাবকদের ব্ল্যাকমেল করে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে ধরা পড়েছেন বগুড়া শহরের জলেশ্বরীতলা এলাকার একটি কোচিং সেন্টারের পরিচালক। গতকাল বৃহস্পতিবার তাঁকে আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত তাঁকে দুই বছরের জেল ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড দেন।বগুড়া সদর ফাঁড়ির এসআই মঞ্জুরুল হক ভূঁইয়া জানান, গাবতলী উপজেলার বামুনিয়া গ্রামের খায়রুল বাশারের ছেলে মাহমুদুর রহমান শহরের জলেশ্বরীতলা এলাকার আইলিট কোচিং সেন্টারের শিক্ষক ছিলেন। ছাত্রী উত্ত্যক্তের অভিযোগে তাঁকে সেখান থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এরপর তিনি আরও দুজনের সঙ্গে মিলে ‘আইরিশ কোচিং সেন্টার’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান খোলেন।পুলিশ সুপার (এসপি) মোজামেঞ্চল হক জানান, সম্প্রতি আটজন অভিভাবক থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। পরে গতকাল শহরের সাতমাথা এলাকা থেকে মাহমুদুরকে আটক করা হয়।নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলার বরকাশিয়া-বিরামপুর ইউনিয়নে বাপেক্সের ত্রিমাত্রিক জরিপ দলের অস্থায়ী তাঁবুতে গোফরান হোসেন নামের এক জরিপ কর্মকর্তার রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। তাঁর গ্রামের বাড়ি পিরোজপুর জেলায়।অজ্ঞান অবস্থায় অপর কর্মকর্তা আবুল কাসেমকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁর বাড়ি জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার জাঙ্গালিয়া গ্রামে।পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, সুনেত্র গ্যাসক্ষেত্রের গ্যাসের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য বাপেক্সের একটি ত্রিমাত্রিক জরিপ দল বেশ কিছুদিন ধরে সুনামগঞ্জের ধরমপাশা ও নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অস্থায়ী তাঁবু টানিয়ে জরিপ কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল। গতকাল সকালে মোহনগঞ্জের বরকাশিয়া বিরামপুর ইউনিয়নে স্থাপন করা একটি অস্থায়ী তাঁবুতে নৈশপ্রহরী গিয়ে ডাকাডাকি করার পরও কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে ভেতরে প্রবেশ করেন। পরে তিনি ওই তাঁবুতে গোফরান হোসেন হাওলাদারকে মৃত অবস্থায় পান। অজ্ঞান অবস্থায় আবুল কাশেমকে উদ্ধার দ্রুত ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। |
খবর ছিল, বার্সেলোনার সঙ্গে চুক্তি নবায়নে অনিচ্ছুক আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা। ২০১৫ সালে বর্তমান চুক্তি শেষে তাঁকে পাওয়ার জন্য ম্যানচেস্টারের দুই দল ইউনাইটেড ও সিটির আগ্রহের কথাও শোনা গিয়েছিল। কিন্তু ইনিয়েস্তা বার্সেলোনাতেই থাকছেন। চুক্তি নবায়নে দুই পক্ষই রাজি—এমন খবর দিয়ে কাতালান ক্লাবটির নতুন কোচ জেরার্ডো মার্টিনো বলছেন, ‘সভাপতি (সান্দ্রো রোসেল) এবং আন্দ্রেসের কথায় এটা এখন পরিষ্কার, বার্সাতেই সে ক্যারিয়ার শেষ করতে চায়।’ ২০১১-১২ মৌসুমের ইউরোপ-সেরা ইনিয়েস্তা বার্সেলোনাতে খেলে ক্যারিয়ার শেষ করুন, মার্টিনোও এটা চান, ‘ক্লাব সভাপতি হলে আমিও চাইতাম, ক্লাবের প্রতীক হয়ে ওঠা তার মতো এমন একজন খেলোয়াড় এখানে খেলেই ক্যারিয়ার শেষ করুক।’ এ বছর যোগ দিয়েই ক্লাবের সর্বোচ্চ দ্বিতীয় পারিশ্রমিক পাওয়া খেলোয়াড়ে পরিণত হয়েছেন নেইমার। চুক্তি নবায়নে ইনিয়েস্তার ‘অনীহা’কে নেইমারকে কেনার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে দেখেছেন কেউ কেউ। কিন্তু সব জল্পনা উড়িয়ে দিয়ে ইনিয়েস্তাও ঘোষণা করলেন, ‘আমি এটুকুই বলতে পারি, এখানে খেলেই ক্যারিয়ারের শেষ টানার ইচ্ছা আমার। ক্লাবের ইচ্ছাও তাই।’ রয়টার্স ও ওয়েবসাইট।শোকের ছোঁয়া১১ মাস পর দেশের মাটিতে ওয়ানডে, ম্যাচের দুই দিন আগেই টিকিট শেষ। এমন উৎসবের আবহে ঘেরা ম্যাচের শুরুটা হলো শোকের ছোঁয়ায়। কাল ভোরেই পরপারে পাড়ি জমিয়েছেন শেখ সালাহউদ্দিন। অকালপ্রয়াত অফ স্পিনারের স্মরণে ম্যাচ শুরুর আগে মাঠে এক মিনিট নীরবতা পালন করল দুই দল। বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা মাঠে নেমেছেন হাতে কালো ফিতা বেঁধে। পৃথিবীর মায়া কাটানো বাংলাদেশের তৃতীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার সালাহউদ্দিন, বয়স হয়েছিল ৪৪ বছর ২৬১ দিন। সড়ক দুর্ঘটনায় মানজারুল ইসলাম রানা এই অমোঘ নিয়তি মেনে নিয়েছিলেন ২২ বছর ৩১৬ দিন বয়সে। ৩২ বছর ২৭৪ দিন বয়সে মাজহারুল হক। ক্রিকেটে পরিসংখ্যান এমনভাবে জড়িয়ে আছে, মৃত্যুর মতো ব্যাপারেও রেকর্ড ভাঙা-গড়ার ব্যাপার নিয়ে নাড়াচাড়া হয়। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারদের মধ্যে সালাহউদ্দিনের চেয়ে কম বয়সে মৃত্যুকে উইকেট দিয়েছেন মাত্র ২০ জন। সর্বকনিষ্ঠ অবশ্যই মানজারুল।‘উদার’ আম্পায়ারওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে লেগ স্টাম্পের ওয়াইডের ক্ষেত্রে বিন্দুমাত্র ছাড় দিতে চান না আম্পায়াররা। লেগ স্টাম্পে বাতাস লাগিয়ে গেলেও দেখা যায় আম্পায়ারের প্রসারিত দুই হাত। কাল বাংলাদেশ ইনিংসের পঞ্চম ওভারে হঠাৎ উদার হয়ে গেলেন শ্রীলঙ্কান আম্পায়ার রানমোর মার্টিনেজ। টিম সাউদির দ্বিতীয় বলটি ছিল লেগ স্টাম্পের অনেক বাইরে। ব্যাটসম্যানের শরীর থেকে অনেকটা দূরে, গ্ল্যান্স করতে গিয়ে ব্যাটেও পাননি মুশফিক। কিন্তু আম্পায়ারের নড়ন-চড়ন নেই। মুশফিক অবাক হয়ে ইশারায় কারণটা জানতে চাইলেন, কিন্তু আম্পায়ার মার্টিনেজ ভাবলেশহীন দাঁড়িয়ে!‘ডায়মন্ড’ ডাকআচমকাই যেন স্বর্গ থেকে পতন। তবে নিজের ‘পাপ’ তাতে সামান্যই। সতীর্থের ডাকে সাড়া দিতে গিয়ে ‘প্রাণ’ হারালেন মুমিনুল হক। রান আউট হলে ব্যাটসম্যানদের মেজাজ বিগড়ে যায় সব সময়ই। কোনো বল না খেলেই রান আউট হলে তো মেজাজ চড়ে যাওয়ার কথা সপ্তমে! মুমিনুল বলেই হয়তো বিরক্তিটা প্রকাশ করলেন স্রেফ এনামুলের দিকে একটু ভ্রু কুঁচকে। ওয়ানডেতে ‘ডায়মন্ড ডাক’ বা বল না খেলেই আউট হওয়া বাংলাদেশের সপ্তম ব্যাটসম্যান মুমিনুল। প্রথমবার এই দুর্ভাগ্যের শিকার হয়েছিলেন যিনি, কাল তিনিও বাংলাদেশের ড্রেসিংরুমে। ১৯৯৯ সালে কেনিয়ার বিপক্ষে ‘ডায়মন্ড ডাক’ পেয়েছিলেন বর্তমান দলের ম্যানেজার আকরাম খান। এরপর এই তিক্ত স্বাদ পেয়েছেন নাঈমুর রহমান, হাবিবুল বাশার, এনামুল হক জুনিয়র, নাঈম ইসলাম ও সর্বশেষ ২০০৯ সালে জুনায়েদ সিদ্দিক।দুজনই বাঁহাতিচোটের কারণে দলে নেই মার্টিন গাপটিল। হামিশ রাদারফোর্ডের সঙ্গে কাল তাই ওপেন করতে নামলেন অভিষিক্ত অ্যান্টন ডেভচিচ। সাড়ে ১০ বছর পর ওয়ানডেতে নিউজিল্যান্ডের হয়ে ব্যাটিং ওপেন করলেন দুই বাঁহাতি। সর্বশেষ দুই বাঁহাতি ওপেনার ছিল ২০০৩ বিশ্বকাপে, পোর্ট এলিজাবেথে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওই ম্যাচে স্টিভেন ফ্লেমিংয়ের ওপেনিং সঙ্গীর নাম জানলে অবাক হতে পারেন—ড্যানিয়েল ভেট্টোরি! ওয়ানডেতে ব্যাটিং ওপেন করেছেন ভেট্টোরি আরও দুবার। ওপেনিংয়ে দুই বাঁহাতি অবশ্য খুব বেশি পায়নি নিউজিল্যান্ড। তবে কিউইদের ওপেনিংয়ে সবচেয়ে বেশিবার জুটি বেঁধেছেন দুজন বাঁহাতিই। ৪৩ ইনিংস একসঙ্গে ব্যাটিং ওপেন করেছেন জন রাইট ও ব্রুস এডগার।সেই মাশরাফিচোট কাটিয়ে পুনর্বাসনের দীর্ঘ এক কষ্টকর প্রক্রিয়া শেষে আরও একবার ফিরলেন মাঠে। প্রায় ১৫ কেজি ওজন কমিয়ে চনমনে হয়ে উঠেছেন তিনি। ফিল্ডিংয়ে নেমে অনেকটা ছুটে গিয়ে আম্পায়ারের হাত থেকে বল নিলেন প্রথম ওভারটি করার জন্য। বোলিংও করলেন দারুণ। প্রথম ৫ বলেই রান নেই। শেষ বলটি ছিল স্লোয়ার। হালকা ড্রাইভ করেছিলেন রাদারফোর্ড। রান এমনিতেও হতো না। তার পরও ফলো থ্রুতে ডাইভ দিয়ে ফেরালেন বলটি। এই হলেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। দীর্ঘ চোট কাটিয়ে ফিরেছেন, কিন্তু মাঠে নেমে নিজেকে উজাড় করে দেওয়ার মানসিকতা বদলায়নি একটুও।গাজী ‘বিটিভি’ টিভি!ক্রিকেট মাঠে ওভার ৬ বলে হলেও বছরের পর বছর ধরেই বিটিভিতে ওভার ৫ বলে। ওভারের প্রথম বলটি অনেক সময়ই যে খেয়ে নেয় বিজ্ঞাপন! কাল খেলা সম্প্রচারে যেন বিটিভিকে আদর্শ মানল গাজী টিভি। মাঠে যখন ওভারের প্রথম বলটি করছেন বোলার, গাজীর পর্দায় তখন নতুন একটি বিজ্ঞাপন শুরু হচ্ছে! কাল বাংলাদেশ ইনিংসের প্রথম ২৫ ওভারে গাজীর পর্দায় প্রথম বলটি দেখা গেছে হাতে গুনে এক-দুবার। কখনো কখনো তো ছাড়িয়ে গেল বিটিভিকেও। প্রথম বলের মতো শেষ বলও গেছে বিজ্ঞাপনের পেটে, মানে চার বলের ওভার! সম্প্রচার-স্বত্ব কিনেছে তারা আর্থিক লাভের জন্যই, কিন্তু বিজ্ঞাপনের ভিড়ে খেলাটাই হারিয়ে যাওয়া তো দর্শকের জন্য বিরক্তিকরই!আবার সংকটের মুখে পড়ল থাইল্যান্ড। আবার বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে রাজধানী ব্যাংকক। চলতি সপ্তাহের কয়েক দিন ধরে ব্যাংককের রাস্তায় রাস্তায় হাজারো মানুষ বিক্ষোভ করে। একপর্যায়ে বিরোধী দলসহ সাধারণ মানুষের আন্দোলনের মুখে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে ক্ষমতাসীন দল পুয়ে থাই পার্টি (পিটিপি)।সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীরা বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের পাশাপাশি সামরিক ও পুলিশ বাহিনীর ঘঁাটি এবং টেলিভিশন চ্যানেল দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ করে। প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে প্রয়োজনে রাজধানী ব্যাংককে আরও প্রতিষ্ঠান অবরোধের হুমকি দিয়েছে বিরোধীরা। ২০১০ সালের পর থাইল্যান্ডে এটিই সবচেয়ে বড় গণবিক্ষোভ।২০১০ সালে থাইল্যান্ডে গত কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ রাজনৈতিক সংঘাত হয়। এতে অন্তত ৯০ জন প্রাণ হারায়। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রার ভাই সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রা ২০০৬ সালে এক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হন। এর পর থেকে দেশটি দফায় দফায় রাজনৈতিক অস্থিরতার মুখে পড়ে।এবারের বিক্ষোভের মূল কারণ থাকসিনের বোন ইংলাকের ক্ষমতাসীন পিটিপি বিতর্কিত বিল পাসের উদ্যোগ। রাজনৈতিক দায়মুক্তির বিলটি পাস হলে দলটির সাবেক নেতা থাকসিন সিনাওয়াত্রা নির্বাসন থেকে দেশে ফিরে আসার পথ উন্মুক্ত হতো। ওই বিতর্কিত বিলের কারণে বিরোধী দলসহ সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। থাইল্যান্ডের পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ সিনেট বিলটি প্রত্যাখ্যান করেছে। কিন্তু তার পরও সরকারবিরোধী আন্দোলন থামছে না।ব্যাংকক চুলালংকর্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনৈতিক বিশ্লেষক থিটিনান পংসদহিরাক বলেন, বিক্ষোভ এখন এতটাই বড় আকার ধারণ করেছে যে সরকারের নীতিনির্ধারণের ক্ষেত্রে এটি সরাসরি অংশ নিতে না পারলেও প্রভাব রাখতে সক্ষম। তিনি মনে করেন, নতুন নির্বাচন ঘনিয়ে আসছে।বিরোধী দল ডেমোক্রেটিক পার্টি সরকারের দিকে বেশ কয়েকটি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রাকে সরকারের নীতি নিয়ে বিতর্কে অবতীর্ণ হতে হবে। এ ছাড়া ইংলাকের দল পিটিপির ছয় হাজার ৯০ কোটি মার্কিন ডলার ব্যয়সাপেক্ষ অবকাঠামো উন্নয়ন পরিকল্পনা নিয়ে অভিযোগের মোকাবিলা করতে হবে।চিয়াং মাই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্লেষক পল চেম্বারস বলেন, আদালতের নির্দেশ দেশের ক্ষমতা থেকে আইনের মাধ্যমে পিটিপিকে সরিয়ে দেওয়ারই ইঙ্গিত। ক্ষমতা থেকে ধীরে ধীরে দূেরে সরে যাচ্ছে দলটি।১৯৩২ সালে সাংবিধানিক রাজতন্ত্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করার পর থাইল্যান্ডে এ পর্যন্ত ১৮টি অভ্যুত্থান বা অভ্যুত্থানের উদ্যোগ হয়েছে। তবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার সময়ে স্থিতিশীলতা আসে। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল ও খেটে খাওয়া মানুষের মধ্যে টেলিকম ব্যবসায়ী ও রাজনীতিবিদ এই প্রধানমন্ত্রীর ব্যাপক সমর্থন ছিল। ওই সমর্থকেরা লাল শার্ট পরে সমাবেশে যোগ দেয় বলে তাদের নাম হয়ে যায় লাল শার্ট। তবে ধনকুবের থাকসিনের শত্রুরও অভাব ছিল না। তাদের মধ্যে শীর্ষে ছিল অভিজাত ও মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষ। তারাই থাকসিনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনেছিল। সামরিক বাহিনীর সমর্থনে থাকসিনবিরোধীরা হলুদ শার্ট হিসেবে একজোট হয় এবং অভ্যুত্থানের মাধ্যমে তাঁকে ক্ষমতাচ্যুত করে। দেশের বাইরে নির্বাসিত হন থাকসিন।অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ের নির্বাচনেও জয়ী হয় পিটিপি। কারণ অভিজাত সমাজ-সমর্থিত ডেমোক্রেটিক পার্টি দু্ই দশকেও উল্লেখযোগ্য ভোট অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে। থাকসিনের দল ও তঁার শরিকেরা সিংহভাগ ভোট অর্জনে সক্ষম। পিটিপির বর্তমান প্রধান থাকসিনের বোন ইংলাকের ২০১৫ সালে নির্বাচন দেওয়ার কথা রয়েছে।থাইল্যান্ড বিশ্লেষক পল চেম্বারসের মতে, থাইল্যান্ডের সব ভোটারের মধ্যেই নিঃসন্দেহে ব্যক্তি হিসেবে থাকসিনই বেশি জনপ্রিয়। তবে তঁার দল পিটিপি অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে বর্তমানে কম জনপ্রিয়।থাইল্যান্ড পর্যবেক্ষক সিঙ্গাপুরের ইনস্টিটিউট অব সাউথইস্ট এশিয়া স্টাডিজের বিশ্লেষক মাইকেল মন্টেসানোর মতে, সরকারবিরোধী বিক্ষোভ ও লাল শার্টধারীদের কিছু অংশের ক্ষোভ এটাই বোঝাচ্ছে যে বর্তমান সরকার– সমর্থকদের এক বিশাল অংশের সন্তুষ্টি ধরে রাখতে ব্যর্থ হয়েছে।সূত্র: এএফপিরাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে ২০১৩ সালের জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষায় শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমলেও পাসের হার বেড়েছে। সেই সঙ্গে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে তিন গুণের বেশি। এই ফলাফল বোর্ডের অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে।রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, এই বোর্ডে এবার পাসের হার ৯৩ দশমিক ৮৮ শতাংশ। গতবার ছিল ৮৫ দশমিক ০৯ শতাংশ। গতবার জিপিএ-৫ প্রাপ্তদের সংখ্যা ছিল ছয় হাজার ২২১ জন। এবার তা বেড়ে ২০ হাজার ৫২৩ জনে দাঁড়িয়েছে। রাজশাহীতে এবার গতবারের তুলনায় অংশগ্রহণকারী বিদ্যালয়ের সংখ্যা বাড়লেও শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে। গতবারের চেয়ে এবার বিদ্যালয় বেড়েছে ১৯টি। তবে পরীক্ষায় উপস্থিত শিক্ষার্থী কমেছে এক হাজার ৭৪ জন। এবার দুই হাজার ৯০৭টি বিদ্যালয়ের এক লাখ ৮৪ হাজার ৪৫০ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়। পাস করেছে এক লাখ ৭৩ হাজার ১৬৬ জন। শতভাগ পাস করা বিদ্যালয়ের সংখ্যাও দ্বিগুণের বেশি বেড়েছে। এবার শতভাগ পাস করেছে ৭৪৯টি বিদ্যালয় থেকে। গতবার এই সংখ্যা ছিল মাত্র ৩৩৫টি। কেউ পাস করেনি এমন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যাও কমেছে। গতবার এ রকম ১৩টি বিদ্যালয় থাকলেও এবার সেই সংখ্যা পাঁচটি।রাজশাহী বোর্ডের পাসের হারে ছেলেরা একটু এগিয়ে থাকলেও জিপিএ-৫ প্রাপ্তদের মধ্যে মেয়েদের সংখ্যাই বেশি। ছেলেদের পাসের হার ৯৪ দশমিক ০৫ ভাগ। মেয়েদের ৯৩ দশমিক ৭২ ভাগ। ছেলেদের চেয়ে ৩৪৯ জন মেয়ে বেশি জিপিএ-৫ পেয়েছে।রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান তানবিরুল আলম বলেন, শিক্ষার্থীরা আগের চেয়ে বেশি সতর্ক হয়েছে। পাশাপাশি অভিভাবকেরাও বেশি যত্ন নিচ্ছেন। |
চাঁদপুর জেলা কৃষক লীগের যুগ্ম সম্পাদক মো. নজরুল ইসলামের ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ ২৯ সেপ্টেম্বর। এ উপলক্ষে আজ মরহুমের চাঁদপুর শহরের বাসভবনে বাদ আসর মিলাদ মাহফিল ও দোয়ার আয়োজন করা হয়েছে। এতে আত্মীয়স্বজন ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের অংশগ্রহণের জন্য মরহুমের পরিবারের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি।২০০৪ সালে ইসলামাবাদ সাফ গেমসে সোনা জিতে পাদপ্রদীপের নিচে এসেছিলেন। কিন্তু মাঝে হারিয়েই গিয়েছিলেন শারমিন আক্তার। জার্মানিতে প্রশিক্ষণ শেষে আবারও ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখছিলেন এই শ্যুটার। তবে তেহরানে সদ্য শেষ হওয়া ষষ্ঠ এশিয়ান এয়ারগান চ্যাম্পিয়নশিপে ২৩ জনে ১৮তম হয়ে হতাশ বিকেএসপির প্রাক্তন ছাত্রী ঢাকার শ্যুটিং রেঞ্জে ভালো স্কোরই করেছিলেন। কিন্তু তেহরানে এত বাজে ফল হলো কেন?শারমিন আক্তার: আমি একটু খারাপই করেছি। জার্মানি থেকে ট্রেনিং নিয়ে আসার পরও অনেক ভালো স্কোর করছিলাম। কিন্তু ইরানে যাওয়ার কয়েক দিন আগে আমার অনেক জ্বর হয়েছিল। এ কারণে শরীরটা দুর্বল ছিল। জ্বর সেরে যাওয়ার পরও চার-পাঁচ দিন অনুশীলন করতে পারিনি। ভেবেছিলাম, দু-তিন দিনে ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু হয়নি। তখনই আমি ছন্দটা হারিয়ে ফেলেছিলাম। ৪৩৬ স্কোরের মধ্যে আমি করেছি ৪০৬.৪। কোচ ছাড়াই গেছেন। এটাও কি খারাপ ফলাফলের একটা কারণ?শারমিন: তা তো অবশ্যই। কোচ গেলে ওই সময় হয়তো আমাকে বলত, তুমি এটা করো, ওটা করো। আত্মবিশ্বাস ফিরে পেতাম। আসলে ওখানে সমস্যায় পড়লেও দেখানোর কেউ ছিল না। একজন খেলোয়াড় তো আরেকজন খেলোয়াড়ের সমস্যার সমাধান করতে পারে না। অনেক লম্বা বিরতির পর এবার একটা আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় গেলেন আপনারা। এটাও কি ভালো ফল করতে না পারার কারণ?শারমিন: আমাদের বড় সমস্যাই হলো ধারাবাহিকতা না থাকা। অনেক দিন পর পর একেকটা প্রতিযোগিতায় অংশ নিই। দেখা যায়, দুই বছর হয়ে গেলেও কোনো গেমস নেই। চীন বা ভারতে এমনটা হয় না। এক গেমস শেষ করেই ওই সব দেশের শ্যুটাররা অন্য কোনো দেশে দৌড়াচ্ছে। ট্রেনিং নিচ্ছে। আপনার শুরুটা অনেক ঝলমলে। নিজেকে প্রত্যাশিত লক্ষ্যে নিয়ে যেতে পেরেছেন?শারমিন: এক বছর আগেও চিন্তা করতাম আমাকে দিয়ে কিছু হচ্ছে না। বিষণ্নতায় ভুগতাম। কিন্তু জার্মানিতে ট্রেনিংয়ে যাওয়ার পর ভালোই করেছি স্কোর। সেখান থেকে এসে আমার গড় স্কোর (৩৯৭-৩৯৯) মারতে পারছিলাম। আসলে এর পর থেকেই ভেবেছি, আমাকে দিয়ে হবে। এখন আমি আবার স্বপ্ন দেখতে পারি। আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়েছি। নিয়মিত অনুশীলন করতে পারলে এখনো ভালো কিছু করতে পারব। বাংলাদেশের শ্যুটিং কি এগোচ্ছে?শারমিন: ১৫ বছর আগের তুলনায় এখন স্কোর অনেক ভালো হচ্ছে। এটা সত্যি, আমাদের পাশের দেশ ভারত বা এশিয়ার অন্য দেশ আমাদের চেয়েও অনেক উন্নতি করেছে। তবে আমরা গরুর গাড়ির গতিতে চললে ওরা এগোচ্ছে রকেটের গতিতে। পার্থক্য এখানেই। শ্যুটিংয়ের নতুন নিয়মেও নিশ্চয় সমস্যা হচ্ছে?শারমিন: নতুন নিয়ম অন্য কোনো ইভেন্টে হয়নি। শুধু আমাদের ইভেন্টে ১০ মিটার এয়ার রাইফেলেই এটা চালু হয়েছে। এখন নিয়মটা হলো, ৪০০-এর পর থেকেও পয়েন্ট ধরা হচ্ছে। ১০.০ থেকে ১০.৯ পর্যন্ত। আমাদের শুধু শ্যুট অফ হচ্ছে। কম্পিউটারের ওই সিস্টেম ছাড়া এখন এগোনো যাবে না। ফেডারেশনকে ওই প্রযুক্তি আনতে হবে। শ্যুটিংয়ে তো নিয়মিত ক্যাম্পও হচ্ছে না...শারমিন: এটা বড় সমস্যা। এক-দেড় বছর ক্যাম্প না হলে তো একজন শ্যুটার ঘরের মধ্যে বসে থাকবে। রাইফেলে মরিচা ধরে যাবে। শ্যুটিংয়ের বাইরে আর কী করছেন?শারমিন: কিছুদিন আগে স্নাতক পরীক্ষা দিয়েছি একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। কিন্তু এখনই চাকরি করতে চাই না। আপাতত শ্যুটিং ছাড়া আর কিছু ভাবছি না। শ্যুটিং নিয়েই এগোতে চাই। দেখি, কতদূর যেতে পারি।চট্টগ্রামে কুকুর লেলিয়ে দিয়ে মেধাবী ছাত্র হিমাদ্রী মজুমদার হত্যা মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি আবার পিছিয়েছে।গতকাল বৃহস্পতিবার মহানগর দায়রা জজ এস এম মজিবুর রহমানের আদালতে শুনানির দিন ধার্য ছিল। আদালত আগামী বছরের ১৬ জানুয়ারি পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেন। এর আগে গত ১৭ নভেম্বর শুনানির দিন ধার্য থাকলেও রাষ্ট্রপক্ষ সময়ের আবেদন করলে তা পেছানো হয়।মহানগর দায়রা জজ আদালতের বেঞ্চ সহকারী ওমর ফুয়াদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিচারক ছুটিতে থাকায় মামলার শুনানি হয়নি। আগামী ১৬ জানুয়ারি পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।’২০১২ সালের ২৭ এপ্রিল নগরের পাঁচলাইশ এলাকায় হিমাদ্রীকে কুকুর লেলিয়ে দিয়ে হত্যা করা হয়। ২৬ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে ২৩ মে ঢাকার একটি হাসপাতালে মারা যান হিমাদ্রী। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হলে পুলিশ গত ৩০ সেপ্টেম্বর পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। তাঁরা হলেন: ব্যবসায়ী শাহ সেলিম টিপু, তাঁর ছেলে জুনায়েদ রিয়াদ, শাহাদাত হোসাইন, জাহিদুল ইসলাম শাওন ও মাহাবুব আলী খান।নওগাঁয় স্কুল থেকে ষষ্ঠ শ্রেণীর বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল নিয়ে বাড়ি ফেরা হলো না ফারহানা আকতারের। গতকাল রোববার স্কুল থেকে ফলাফল নিয়ে মোটরসাইকেলে করে বাড়ি ফেরার পথে ট্রাক্টরের ধাক্কায় নিহত হয়েছে সে।ফারাহানা রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার কুদাপাড়া গ্রামের আবেদ আলীর মেয়ে। সে নওগাঁ শহরের চকপ্রসাদ মহল্লায় নানা সোলাইমান আলীর বাড়ি থেকে নওগাঁ সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে লেখাপড়া করত।পুলিশ জানায়, রোববার দুপুরে ফারহানা তার মামা আবদুস সালামের সঙ্গে মোটরসাইকেলে করে স্কুল থেকে ষষ্ঠ শ্রেণীর বার্ষিক পরীক্ষার ফল নিয়ে বাড়ি ফিরছিল। শহরের দপ্তরীপাড়ায় পৌঁছালে মাটিবোঝাই একটি ট্রাক্টর মোটরসাইকেলটিকে সজোরে ধাক্কা দেয়। ঘটনাস্থলেই ফারহানার মৃত্যু হয়। মামা আবদুস সালাম আহত হন। |
কিছু কিছু মানুষ তাঁদের প্রতিভা আর কর্মসাফল্য দিয়ে দুনিয়াকে চমকে দিতে পছন্দ করেন। চট্টগ্রাম বন্ধুসভার বন্ধু সেঁজুতি গুপ্ত তেমনই একটি নাম। মাত্র ছয় বছর বয়স থেকেই শুরু হয় তাঁর স্বপ্নের পথে যাত্রা। আজও চলছে তাঁর সেই পথচলা। নাচ, আবৃত্তি ও চিত্রাঙ্কন—শিল্পের এ তিনটি শাখায় সেঁজুতির অসামান্য পারদর্শিতা। শুধু শিল্পচর্চা নয়, শিক্ষাজীবনেও নিজের মেধার পরিচয় দিয়েছেন বারবার। এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হওয়ার পাশাপাশি এইচএসসি ও স্নাতক পরীক্ষায়ও রেখেছেন মেধার স্বাক্ষর।ছয় বছর বয়সে শিক্ষাজীবন শুরু করার পাশাপাশি নাচের হাতেখড়ি নিয়েছিলেন নৃত্যশিল্পী সোমা বোসের কাছে। প্রেরণা জুগিয়েছিলেন মা স্বপ্না পালিত গুপ্ত। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি নারায়ণ কৃষ্ণ গুপ্তের মেজো মেয়ে সেঁজুতি গুপ্তকে।বাংলাদেশ শিশু একাডেমী চট্টগ্রাম থেকে একে একে শেষ করেছেন তিন বছর মেয়াদি নাচ, আবৃত্তি ও চিত্রাঙ্কনের প্রশিক্ষণ। সেঁজুতির আবৃত্তি চর্চার হাতেখড়ি হয় মিলি চৌধুরীর কাছে। চট্টগ্রামের চিলড্রেনস থিয়েটারে আট বছর বয়সে কিছুদিন যুক্ত ছিলেন অভিনয়ে। অর্জনের ঝুলিতে রয়েছে স্থানীয় অসংখ্য পুরস্কার। ১৯৯৭ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ টেলিভিশন চট্টগ্রাম কেন্দ্রের বিভিন্ন আয়োজনে করেছেন নাচ, আবৃত্তি ও উপস্থাপনা। পরিবার ও আত্মীয়স্বজনের পাশাপাশি বন্ধুদের উৎসাহেই এতটুকু পথ পাড়ি দেওয়া বলে জানালেন সেঁজুতি। বর্তমানে চট্টগ্রাম ইনডিপেনডেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে এমবিএ করার পাশাপাশি চাকরি করছেন একটি বেসরকারি আবাসন নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানে।এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের গুলশান করপোরেট শাখার কার্যক্রম সম্প্রতি শুরু হয়েছে। কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান নিজাম চৌধুরী। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হানিফ চৌধুরী, উদ্যোক্তা ও পরিচালক গোলাম মোহাম্মদ, আতাউর রহমান ভুঁইয়া, মোহাম্মদ শাহজাহান মিয়া, ড. মোহাম্মদ ফারুক, সারিনা তামান্না হক, মোহাম্মদ মনজুর আলম শেঠ, মোহাম্মদ ইউসুফ, মোারশেদুল আলম, রাশেদ উদ্দিন মাহমুদ, সুব্রত কুমার ভৌমিক প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি।চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার কানসাট থেকে গতকাল সকালে মো. বিপ্লব (২৮) নামের এক তরুণের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বিপ্লব ঢাকার সাভারের মকবুল হোসেনের ছেলে। শিবগঞ্জ থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান, সকালে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-সোনামসজিদ সড়কের কানসাটে বিপ্লবের মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয় স্থানীয় লোকজন। নিজস্ব প্রতিবেদক, চাঁপাইনবাবগঞ্জআজ সোমবার প্রকাশ করা হবে প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার ফল। দুপুর সাড়ে ১২টায় নিজ মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে ফলাফল তুলে ধরবেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা এবং শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। এর আগে সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ফলাফলের অনুলিপি হস্তান্তর করার কথা রয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শ্যামল কান্তি ঘোষ গতকাল রোববার জানান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দুপুর একটায় ফল পাওয়া যাবে। |
বয়স ৪০ ছুঁই-ছুঁই। এই বয়সে খেলা ছেড়ে অনেকে পুরোদস্তুর সংসারী হয়ে যান। মিসবাহ-উল-হক খেলে যাচ্ছেন এখনো। শুধু খেলছেন না, দিব্যি পাকিস্তানের অধিনায়কত্বও করে যাচ্ছেন। মিসবাহর নেতৃত্বে মুগ্ধ সাবেক পাকিস্তান অধিনায়ক জহির আব্বাসও। এতটাই যে এ মুহূর্তে পাকিস্তান অধিনায়ক হিসেবে তাঁর বিকল্প কেউ নেই বলেও মনে করেন তিনি।পরিসংখ্যানও কিন্তু সমর্থন করছে জহির আব্বাসের বক্তব্যকেই। অধিনায়ক হিসেবে পাকিস্তানকে ২২ টেস্টে নেতৃত্ব দিয়েছেন মিসবাহ। ১০টি জয়ের পাশাপাশি ড্র করেছেন সাতটি ম্যাচে। কিংবদন্তি পাকিস্তান অধিনায়ক ইমরান খানের (৪৮ টেস্টে ১৪ জয়, ২৬ ড্র, ৮ হার) চেয়েও তাঁর জয়ের হার বেশি। এগিয়ে আছেন জাভেদ মিয়াঁদাদের (৩৪ টেস্টে ১৪ জয়, ১৪ ড্র, ৬ হার) চেয়েও। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সদ্য শেষ হওয়া সিরিজ ১-১ ড্র হওয়ার পর দলে পরিবর্তনের দাবি তুলেছিলেন অনেক সাবেক পাকিস্তানি ক্রিকেটার। তবে জহির আব্বাসের ধারণা, মিসবাহর নেতৃত্বেই আগামী মাসে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজেই ঘুরে দাঁড়াবে পাকিস্তান। ওয়েবসাইট।প্রাইম ব্যাংকের ১৪৫তম এটিএম বুথ সম্প্রতি বনশ্রীর আবাসিক এলাকায় উদ্বোধন করেছেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মো. এহসান খসরু। এ সময় ব্যাংকের রিটেইল ব্যাংকিং অপারেশনসের প্রধান এসইভিপি হাবিবুর রহমান, ফেসিলিটি ম্যানেজমেন্ট ডিভিশনের প্রধান ইভিপি ফরহাদ উদ্দিন, জনসংযোগ বিভাগের প্রধান ইভিপি ফেরদৌসী সুলতানা, এডিসি বিভাগের এভিপি মো. মিজানুর রহমান এবং বনশ্রী শাখার প্রধান এসএভিপি মো. কবিরুল হাসান উপস্থিত ছিলেন। বিজ্ঞপ্তি।আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় দীর্ঘদিন ধরে উত্তর কোরিয়াকে পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের জন্য চাপ দিয়ে আসছে। এ জন্য আলোচনা থেকে শুরু করে অবরোধ আরোপ পর্যন্ত নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু তাতে নিভৃতকামী কমিউনিস্ট দেশটির অবস্থানের বিশেষ পরিবর্তন নেই। তারা পরমাণু অস্ত্রের সম্ভার বাড়িয়েই চলেছে। কৃত্রিম উপগ্রহ থেকে তোলা ছবি পর্যালোচনা করে সে ধারণাই মিলেছে।গত আগস্ট মাসে তোলা ছবি পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, উত্তর কোরিয়া তার ইয়ংবিয়ন পরমাণু স্থাপনায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করার ক্ষমতা দ্বিগুণ করেছে। গত সেপ্টেম্বর মাসে তোলা ছবিতে দেখা যায়, দেশটি তার প্লুটোনিয়াম চুল্লির কার্যক্রম ফের শুরু করেছে।যুক্তরাষ্ট্রের পরমাণুবিজ্ঞানী ও উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র সম্পর্কে বিশেষজ্ঞ সিগফ্রায়েড হেকারের মতে, উত্তর কোরিয়া তার পারমাণবিক কার্যক্রম জোরেশোরেই চালিয়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি এক অনলাইন সাময়িকীতে তিনি লিখেছেন, ‘উত্তর কোরিয়াকে পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত করার লক্ষ্যে আমাদের স্থির থাকতে হবে। তবে দেশটি যেভাবে তার পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচি নিয়ে এগোচ্ছে, তাতে মনে হয় কাজটা একটু কঠিনই হবে। আমরা যদি স্পষ্টভাবে জানতে পারতাম, উত্তর কোরিয়া আসলে কোন দিকে যাচ্ছে, তাহলে তাদের কীভাবে থামানো যায়, এ ব্যাপারে একটা মতৈক্যে পেঁৗছাতে পারতাম।’বাবা কিম জং ইলের মৃত্যুর পর ২০১১ সালের শেষ নাগাদ উত্তর কোরিয়ার ক্ষমতায় আসেন কিম জং উন। নতুন এ তরুণ নেতার দুইই বছরের শাসনামলে দেশটি দূররপাল্লার একটি রকেট এবং পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে। গত ফেব্রুয়ারি মাসে তৃতীয়বারের মতো এই পরীক্ষা চালায় উত্তর কোরিয়া। এর আগে ২০০৬ ও ২০০৯ সালে পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষা চালায় দেশটি। তাদের সর্বশেষ পরীক্ষা সারা বিশ্বের নিন্দা কুড়ায়। এমনকি দেশটির প্রধান মিত্র চীনও এর নিন্দা করেছে। এ ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্র উত্তর কোরিয়ার ওপর আরোপিত অবরোধ আরও জোরদার করে।যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার চাওয়া হচ্ছে, উত্তর কোরিয়া নিজে থেকে শর্তহীনভাবে পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচি ত্যাগ করবে। কিন্তু পিয়ংইয়ং বারবার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে যে পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচি পরিত্যাগ করার কোনো ইচ্ছা তার নেই।মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের কর্মকর্তা ইভান্স রিভিয়ার ব্রুকিংস ইনস্টিটিউশনের এক প্রকাশনায় লিখেছেন, উত্তর কোরিয়ার ব্যাপক বিধ্বংসী অস্ত্র কর্মসূচি বন্ধ করার কোনো কূটনৈতিক পন্থা আপাতত নেই। কেননা, এ ব্যাপারে পিয়ংইয়ং অনেক এগিয়ে গেছে।একের পর এক অস্ত্রের পরীক্ষা চালালেও উত্তর কোরিয়া এখন চাইছে পরমাণু অস্ত্র নিরস্ত্রীকরণ বিষয়ে শর্তহীনভাবে বিশ্ব সম্প্রদায়ের সঙ্গে আলোচনায় বসতে। কিন্তু পিয়ংইয়ংয়ের আসল উদ্দেশ্য নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সন্দেহ আছে। এ ব্যাপারে উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে ছয় জাতির আলোচনায় সাবেক মার্কিন প্রতিনিধি পল হায়েনল বলেন, এখন আলোচনায় বসলে উত্তর কোরিয়া তাকে এমনভাবে পরিচালিত করবে যে তা দেশটিকে অস্ত্রমুক্ত করার যে আন্তর্জাতিক লক্ষ্য রয়েছে, তার বাস্তবায়ন হবে না৷তবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ইভান্স রিভিয়ারের মতে, লক্ষ্য যদি হয় পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের ব্যাপারে উত্তর কোরিয়াকে রাজি করানো, তাহলে আলোচনার কোনো বিকল্প নেই। তবে তা হতে হবে উচ্চপর্যায়ে।উত্তর কোরিয়াকে পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত করার লক্ষ্যে দেশটিকে সঙ্গে নিয়ে ২০০৩ সালে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চীন, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া আলোচনা শুরু করেছিল। কিন্তু নানা কারণে এ ব্যাপারে কোনো অগ্রগতি হয়নি। সর্বশেষ আলোচনা হয় ২০০৮ সালে। আন্তর্জাতিক আহ্বান উপেক্ষা করে উত্তর কোরিয়া ২০০৯ সালে পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা চালানোর পর আলোচনায় অচলাবস্থা দেখা দেয়।রোকেয়া রহমান, সূত্র: বিবিসিহাড়কাঁপানো কনকনে ঠান্ডায় বগুড়ার যমুনাপারের মানুষের কাহিল অবস্থা। তবে এ শীতে গরিব মানুষের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। ঈশ্বরদীতে ঠান্ডা বাতাস ও ঘন কুয়াশায় অনেকে কাজে বের হতে পারছেন না। পৌর এলাকার পিয়ারপুর গ্রামের বাসিন্দা শারীরিক প্রতিবন্ধী পাতানী বেগম বলেন, ‘শীতে কাঁপি মরনুগো বাপ, খ্যাথা কম্বল নাই, শীতে মরি যাচ্ছি।’ আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর:বগুড়া: যমুনার গর্ভে ভিটামাটি হারিয়ে বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধে আশ্রয় নেওয়া শীতার্ত অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন বগুড়ার সরকারি আজিজুল হক কলেজের শিক্ষার্থীরা। তাঁরা গতকাল সকালে সোনাতলা উপজেলার তেকানীচুকাইনগর কাচারীবাজার এলাকায় গিয়ে বাঁধে আশ্রিত শ্রমজীবী মানুষের মাঝে শীতের কম্বল ও গরম কাপড় বিতরণ করেন। এসব শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয় ওই কলেজের ‘সৃজনশীল বন্ধু সংগঠন’ নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের উদ্যোগে।ঈশ্বরদী (পাবনা): পাতানী বেগমের মতো প্রচণ্ড শীতে দরিদ্র-অসহায়-দুস্থ ব্যক্তিরা কাতর হয়ে পড়েছেন। অনেকে তীব্র শীতে কাজে যেতে পারছেন না। গত শনিবার সাহেবনগর চরে সরেজমিনে দেখা যায়, শীতবস্ত্রের অভাবে সেখানে বসবাসকারী অনেকেই মানবেতর জীবন যাপন করছেন। গতকাল পর্যন্ত এ চরে কোনো শীতবস্ত্র পৌঁছায়নি। ঈশ্বরদী আবহাওয়া কার্যালয় থেকে জানা গেছে, এখানে গতকাল দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। |
উচ্চাঙ্গসংগীত সাধক ওস্তাদ গুল মোহাম্মদ খানের ৩৮তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ ২৯ সেপ্টেম্বর। এ উপলক্ষে রাজধানীর বড় মগবাজারে অবস্থিত ওস্তাদ গুল মোহাম্মদ খান সংগীত একাডেমিতে আজ বিকেল চারটায় আলোচনা ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি।ফেনীতে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ১০ শিশুকে আটক করেছেন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সদস্যরা। আটক শিশুরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনী বাইপাস অংশের কাছে পিকেটিং করছিল বলে জানিয়েছে র্যাব।র্যাব-৭ ফেনী ক্যাম্পের অধিনায়ক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জসিম উদ্দিন জানান, বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮-দলীয় জোটের ৬০ ঘণ্টার হরতালের শেষ মুহূর্তে গতকাল সন্ধ্যার সময় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনী বাইপাস অংশের রামপুর রাস্তার মাথা নামক স্থানে পিকেটিং করা হচ্ছে বলে তাঁরা সংবাদ পান। র্যাব সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখতে পান, বেশ কিছু শিশু যানবাহন ভাঙচুর করছে। পরে তাঁরা ধাওয়া করে ১০ শিশুকে আটক করেন। নিজস্ব প্রতিবেদক, ফেনী।নওগাঁর ধামইরহাটে ভেজাল বীজ রাখার দায়ে দুটি প্রতিষ্ঠানকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল বেলা ১১টার দিকে ইউএনওর নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত উপজেলার খাদ্যগুদামের সামনে অবস্থিত মৌসুমী বীজ ভান্ডার ও মেসার্স কৃষি বীজ ভান্ডারে অভিযান চালান। এ সময় ওই দুটি প্রতিষ্ঠান থেকে ৩০-৩২ মণ বীজ উদ্ধার করা হয়। আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধিজুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষায় পাসের হার ৯১ দশমিক ১১ শতাংশ। আর জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৯ হাজার ২১১ জন। গতবারের চেয়ে এ পরীক্ষায় পাসের হার ও জিপিএ-৫ দুটোই বেড়েছে।জেডিসি পরীক্ষায় গতবার পাসের হার ছিল ৯০ দশমিক ৮৭ শতাংশ। আর জিপিএ-৫ পেয়েছিল দুই হাজার ৭৮৪ জন।গতকাল রোববার জেএসসি পরীক্ষার সঙ্গে জেডিসি পরীক্ষার ফলও প্রকাশ করা হয়। জেডিসিতে এবার তিন লাখ ১৫ হাজার ৬২০ পরীক্ষার্থীর মধ্যে পরীক্ষায় অংশ নেয় তিন লাখ ১৩ হাজার ৬৮০ জন। পাস করেছে দুই লাখ ৮৫ হাজার ৭৯৬ জন। এর মধ্যে ছাত্র এক লাখ ৪৮ হাজার ৩৬২ জন এবং ছাত্রী এক লাখ ৬৫ হাজার ৩১৮ জন। ছাত্রদের মোট পাসের হার ৯১ দশমিক ৪৭ শতাংশ এবং ছাত্রীদের মধ্যে মোট পাসের হার ৯০ দশমিক ৭৯ শতাংশ।এবার বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডে ভালো ফলের দিক দিয়ে শীর্ষ অবস্থান করছে ঢাকার উত্তরায় অবস্থিত তানজিমুল উম্মাহ ক্যাডেট মাদ্রাসা।দ্বিতীয় স্থানে আছে ডেমরার দারুননাজাত সিদ্দিকীয়া কামিল মাদ্রাসা।তৃতীয় স্থানে আছে তামিরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসা (টঙ্গী শাখা)। |
আগামী শুক্রবার সারা দেশে একযোগে অনুষ্ঠিত হবে লেখা পাঠের আসর।কিশোর ও তরুণ বন্ধুরা পাঠ করে শোনাবে নিজেদের লেখা গল্প, কবিতা, ছড়া ইত্যাদি। আলোচনা করবে নিজেদের লেখা নিয়ে। একই সঙ্গে থাকছে কিশোর আলোর প্রথম সংখ্যা। বন্ধুরা কিশোর আলোর লেখা পাঠ করবে এবং আলোচনায় অংশ নেবে।লেখা পাঠের এই আসরে আয়োজন করবেন দেশের ৬৪ জেলার সাহিত্য সম্পাদকেরা।বন্ধুরা, আসর শেষে এই আয়োজনের ছবি ও সংবাদ বন্ধুসভার ঠিকানায় পাঠিয়ে দাও। লেখা পাঠের আসরের ছবি ও সংবাদ প্রকাশিত হবে বন্ধুসভার পাতায় ও বন্ধুসভা ডটকমে।নির্বাহী সভাপতিপ্রথম আলো বন্ধুসভা, জাতীয় পরিচালনা পর্ষদবয়স হয়েছিল মাত্র ৪৪ বছর। আর এখানেই কিনা থেমে গেল জীবনের ইনিংস! গতকাল ভোরে খুলনার নিজ বাসভবনে ঘুমের মধ্যেই হূদ্যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে চিরনিদ্রার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন শেখ সালাহউদ্দিন।আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশ দলে প্রথম বিশেষজ্ঞ অফ স্পিনার বলা যায় তাঁকে। আন্তর্জাতিক অভিষেক হয়েছিল ১৯৯৭ সালের জুলাইতে শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত এশিয়া কাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে। অভিষেক ম্যাচে ৫০ রানে নেন ১ উইকেট। ওই এশিয়া কাপের তিন ম্যাচে তাঁর বোলিং একেবারে হইচই ফেলে না দিলেও সেই সময়ের বিবেচনায় সেটিকে যথেষ্টই ভালো বলতে হবে। সে বছরেরই অক্টোবরে কেনিয়ায় খেলেছেন তিন জাতি প্রেসিডেন্টস কাপ ক্রিকেট। মোট ছয়টি ওয়ানডে খেলে ৪ উইকেট। নির্বাচকেরা ফিটনেসের ধুয়া না তুললে আরও দীর্ঘ হতে পারত তাঁর ক্যারিয়ার।জাতীয় দল, প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেট, ক্লাব ক্রিকেট—তিন জায়গাতেই সালাউদ্দিনের সতীর্থ ছিলেন হাবিবুল বাশার। কাল প্রয়াত সতীর্থের স্মৃতি রোমন্থন করতে গিয়ে কিছুটা আবেগাপ্লুত হয়ে পড়লেন জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়ক ও বর্তমানে নির্বাচক, ‘ব্রাদার্সে তাঁর সঙ্গে তিন বছর খেলেছি। ক্লাবের আড্ডার প্রাণ ছিলেন সালাউদ্দিন ভাই। অসাধারণ গানের গলা ছিল তাঁর, রসিকও ছিলেন খুব। ক্লাবে সারাক্ষণই মাতিয়ে রাখতেন আমাদের।’খুলনার হয়ে প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেট খেলেছেন, মৃত্যুর আগ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেছেন খুলনার কোচ হিসেবে। কাল বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড প্রথম ওয়ানডে শুরুর আগে প্রয়াত সালাহউদ্দিনের প্রতি সম্মান জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা ম্যাচটি খেলেছেন বাহুতে কালো ফিতা বেঁধে। এ ছাড়া সালাহউদ্দিনের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে বিসিবি, ক্রিকেটারদের সংগঠন কোয়াব, সিসিডিএম ও বাংলাদেশ ক্রিকেট আম্পায়ার্স অ্যান্ড স্কোরার্স অ্যাসোসিয়েশন, বিএসজেএ ও ক্রীড়া লেখক সমিতি।অবরোধের তৃতীয় দিন গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে রাজশাহী নগরের শালবাগান এলাকায় অবরোধকারীরা পুলিশের সাঁজোয়া যানে হামলা করেছেন। পরে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে রাবার বুলেট ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় দুই পুলিশসহ কমপক্ষে ১০ জন আহত হন।এ ছাড়া নগরের চারখোটার মোড়ে পুলিশের গুলিতে অপর এক পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। বুধবার রাতে নগরের বিনোদপুর এলাকায় ছাত্রলীগের সাবেক এক নেতাকে কুপিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা।এদিকে সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার এনায়েতপুরে বিএনপির মিছিল থেকে চালানো ককটেল হামলায় এক নারীসহ তিনজন আহত হয়েছেন।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গতকাল সকাল সাড়ে সাতটার দিকে নগরের শালবাগান এলাকায় ১৮ দলের নেতা-কর্মীরা মিছিল বের করেন। তাঁরা রাজশাহী-নওগাঁ মহাসড়কের ওপরে বিদ্যুতের খুঁটি, কাঠ ও আগুন জ্বালিয়ে অবরোধ করেন। পুলিশ সাঁজোয়া যান নিয়ে সেখানে পৌঁছালে অবরোধকারীরা যানটি লক্ষ্য করে ককটেল, পেট্রলবোমা ও ইটপাটকেল ছুড়তে থাকেন। পেট্রলবোমা বিস্ফোরিত হয়ে সাঁজোয়া যানে আগুন ধরে যায়। যানটি দ্রুত ওই স্থান থেকে সরে গেলে বাতাসে আগুন নিভে যায়। পরে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে রাবার বুলেট ছুড়লে অবরোধকারীরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। এতে দুই পুলিশ সদস্যসহ কমপক্ষে ১০ জন আহত হন। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয় পুলিশ।বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউর রহমান বলেন, পুলিশ কয়েকটি রাবার বুলেট ছুড়লে অবরোধকারীরা পালিয়ে যান। সকাল নয়টার দিকে নগরের চারখোঁটার মোড়ে শিবিরের কর্মীরা রাস্তায় আগুন জ্বেলে অবরোধ করলে রাজপাড়া থানার একদল পুলিশ ফাঁকা গুলি ছুড়লে পুলিশের দাঙ্গাদমন বিভাগের কনস্টেবল রেজাউল করিম গুলিবিদ্ধ হন। তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ সময় একজন রিকশাচালকও পায়ে গুলিবিদ্ধ হন বলে জানা গেছে।বুধবার দিবাগত রাতে নগরের বিনোদপুর এলাকায় মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সহসাধারণ সম্পাদক সেলিম রেজা খানকে কুপিয়ে জখম করে দুর্বৃত্তরা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মতিহার থানার ওসি আবদুল মজিদ বলেন, বাড়ি ফেরার সময় বিনোদপুরের হানুফার মোড়ে একদল দুর্বৃত্ত তাঁকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে পালিয়ে যায়। তাঁর মাথায় ও হাতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে একাধিক আঘাত করা হয়েছে। শিবিরের কর্মীরা এ হামলা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ।এনায়েতপুর থানা সূত্রে জানা গেছে, গতকাল ভোরে সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানা বিএনপির একটি মিছিল কেজির মোড় এলাকায় গেলে মিছিলকারীরা কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটান। এতে স্থানীয় চা বিক্রেতা আবদুর রাজ্জাকের স্ত্রী হেলেনা বেগম, পিঠা বিক্রেতা আজগার হোসেন ও তাঁর ছেলে ইউসুফ আলী আহত হন। গুরুতর আহত হেলেনা বেগমকে স্থানীয় খাজা ইউনুছ আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অপর দুজনকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এদিকে সিরাজগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত তিন ব্যক্তিকে নিজেদের দলের কর্মী দাবি করে এবং এর প্রতিবাদে জেলা বিএনপি ও জামায়াতের ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতাল গতকাল নিরুত্তাপভাবে পালিত হয়েছে। সকাল সোয়া ছয়টার দিকে জেলা শহরের সমাজকল্যাণ মোড়ে হরতাল ও অবরোধর সমর্থনে জামায়াতের কর্মীরা টায়ারে আগুন ধরিয়ে দেন। পরে তাঁরা একটি ঝটিকা মিছিল বের করেন। বিকেলে সিরাজগঞ্জ-নলকা সড়কের চণ্ডীদাসগাতী এলাকায় হরতালের সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। এতে কয়েকজন আহত হন। এ ছাড়া শহরের আর কোথাও কোনো সহিংসতার খবর পাওয়া যায়নি।চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলায় গত শনিবার হযরত আলী (৪২) নামের এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। একই দিন পাবনা সদর উপজেলায় চাচাতো ভাইয়ের ছুরিকাঘাতে মামুন হোসেন (২৭) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন।শিবগঞ্জ থানার পুলিশ জানায়, উপজেলার ওমরপুর-খোঁজপাড়া গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে হযরত আলী দুধবিক্রেতা ছিলেন। ওই দিন রাত সাড়ে নয়টার দিকে তিনি বাড়ি ফিরছিলেন। পথে উপজেলার কয়লাবাড়ী এলাকায় দুর্বৃত্তরা তাঁকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে। খবর পেয়ে পুলিশ গতকাল রোববার তাঁর লাশ উদ্ধার করে।থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, কী কারণে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে, তা এখনো জানা যায়নি। এ ব্যাপারে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।পাবনা সদরের দোগাছি বাজারে মামুনের টেইলার্সের দোকান রয়েছে। শুক্রবার রাতে মামুনের চাচাতো ভাই খাইরুল ইসলামসহ কয়েকজন যুবক দোকানের পেছনে এক নারীর সঙ্গে অসামাজিক কাজ করেন বলে অভিযোগ ওঠে। মামুন বিষয়টি জানতে পেরে খাইরুলের পরিবারকে জানান। এতে খাইরুল ও তাঁর বন্ধুরা ক্ষিপ্ত হন। শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে দোগাছি পূর্বপাড়া গ্রামের একটি স্কুলের পাশে মামুন তাঁর ছোট ভাই সোহেল রানা ও ভাতিজা রাসেলকে নিয়ে বসে ছিলেন। এ সময় খাইরুল ও তাঁর বন্ধুরা ওই তিনজনকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান। স্থানীয়রা তাঁদের উদ্ধার করে পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করলে চিকিৎসকেরা মামুনকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত দুজনের মধ্যে সোহেলের অবস্থার অবনতি হওয়ায় রাতেই তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। |
চোটের কারণে ত্রিশেই টেনিস ছাড়তে হয়েছিল স্টেফি গ্রাফকে। ১৯৯৯ সালে বিদায় বলার আগে অবশ্য ২২টি গ্র্যান্ড স্লাম (একক) জিতে গড়েছেন উন্মুক্ত যুগে সবচেয়ে বেশি গ্র্যান্ড স্লাম জয়ের রেকর্ড। তবে জার্মানির এই টেনিস গ্রেট মনে করেন সেরেনা উইলিয়ামসই ভেঙে ফেলবেন তাঁর আপাত-অজেয় রেকর্ডটি। শুধু তা-ই নয়, ২৪টি গ্র্যান্ড স্লামজয়ী মার্গারেট কোর্টকেও ছাড়িয়ে যাবেন সেরেনা!‘তার (সেরেনার) এখনো টেনিসকে দেওয়ার অনেক বাকি। আমি দিব্যদৃষ্টিতে দেখছি, সে আমাদের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে। তাকে হারাবে এমন প্রতিদ্বন্দ্বী আদৌ দেখি না আমি’—সেরেনাকে নিয়ে এমনই বিশ্বাস স্টেফির। তাঁর এই বিশ্বাসের ভিত্তি সেরেনার দারুণ শারীরিক ফিটনেস। গত বৃহস্পতিবার ৩২-এ পা রাখা সেরেনা এই মাসেই ১৭তম গ্র্যান্ড স্লাম হিসেবে জিতেছেন ইউএস ওপেন। স্টেফির ভাষায়, ‘তার শরীর খুবই ভালো অবস্থায় রয়েছে। সে খুবই শক্তিশালী এবং তার খেলাটাও শক্তিনির্ভর। প্রতিপক্ষকে ছাড়িয়ে যেতে বরাবরই এটাই তাকে সাহায্য করছে।’ ওয়েবসাইট।যেন সৈয়দ মুজতবা আলীর রসগোল্লা গল্পের ঝান্ডুদা। আজ এই দেশে তো কাল ওই দেশে! তবে ঝান্ডুদার মতো ঝানু ব্যবসায়ী নন, গলফার সিদ্দিকুর রহমান দেশ-বিদেশে ছুটে বেড়াচ্ছেন খেলার নেশায়। এশিয়ান ট্যুরের সর্বশেষ টুর্নামেন্ট মালয়েশিয়ার সিআইএমবি ক্লাসিক ওপেনে খেলে মাত্রই পরশু ঢাকায় ফিরেছেন। এবার তৈরি হচ্ছেন বিশ্বকাপের জন্য।আগামী ২১-২৪ নভেম্বর অস্ট্রেলিয়ায় হবে গলফের বিশ্বকাপ। রয়্যাল মেলবোর্ন গলফ কোর্সের বিশ্ব আসরে খেলবেন বলে দারুণ রোমাঞ্চিত সিদ্দিকুর। প্রথমবারের মতো কোনো বাংলাদেশি খেলবেন গলফের বিশ্বকাপে; উড়বে লাল-সবুজের পতাকা। সুযোগটা হেলায় হারাতে চান না সিদ্দিকুর, ‘প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে বিশ্বকাপে খেলব বলে গর্বিত। অনেক বছর চেষ্টার পর সুযোগটা পেলাম। বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ের সেরা ৬০ জনের মধ্যে আসতে পেরেছি বলেই সুযোগ পেয়েছি বিশ্বকাপে। এটা আমার জন্য বিশাল অর্জন। আমি এই সুযোগ কাজে লাগাতে চাই।’২০১০ সালে ব্রুনাই ওপেনে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর থেকে সেভাবে আর নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি সিদ্দিকুর। এ বছর খেলেছেন ১৮টি টুর্নামেন্ট। কিন্তু সেরা দশে থেকে প্রতিযোগিতা শেষ করেছেন চীনের সেইল-সাবিল ওপেনে (তৃতীয়), থাইল্যান্ডের চ্যাংমাই গলফ ক্লাসিকসে (পঞ্চম) ও কুইন্স কাপে (অষ্টম), তাইওয়ানের মার্কিউরিস মাস্টার্সে (তৃতীয়) এবং ম্যাকাওয়ে ভেনেশিয়ান ওপেনে (সপ্তম)। বিশ্বকাপে নিজের সেরাটাই দিতে চান। অস্ট্রেলিয়ায় ভালো খেলার জন্য অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন প্রিয় খেলোয়াড় দক্ষিণ আফ্রিকার আর্নি এলস। ম্যাকাওয়ে ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো খেলেছেন স্বপ্নের গলফারের সঙ্গে। উচ্ছ্বসিত সিদ্দিকুর বলছিলেন, ‘এটা স্বপ্ন সত্যি হওয়ার মতো ব্যাপার। আমার আইডলের সঙ্গে প্রথমবারের মতো খেলতে পেরে অন্যরকম আনন্দ হচ্ছিল।’ টুকটাক কথা বলেছেন, সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের সঙ্গে খেলে সিদ্দিকুরের অভিজ্ঞতা বেড়েছে অনেক, ‘আর্নি এলসের সঙ্গে খেলে অনেক অভিজ্ঞতা হয়েছে আমার। ওনার কাছ থেকে বেশ কিছু জিনিস শিখতে পেরেছি। অন্য কারও সঙ্গে খেলে হয়তো এত কিছু শেখা সম্ভব হতো না।’দেশের বাইরে ঈদ করাটা একরকম অভ্যাসেই পরিণত হয়েছে সিদ্দিকুরের। গত ঈদুল আজহার দিনে খেলেছেন ম্যাকাও ওপেনের প্রথম রাউন্ড। কিন্তু মনটা পড়ে ছিল দেশে, ‘ঈদের দিন পরিবারের সবাইকে খুব মনে পড়ছিল। গত পাঁচ বছর কোরবানির ঈদ দেশের বাইরে করেছি। খেলাটা এত ভালোবেসেছি, ঈদের আনন্দও মাঝে মাঝে ভুলে যাই। ঈদের দিন মায়ের হাতের পায়েস খুব মিস করেছি।’মাত্র এক সপ্তাহের বিশ্রাম। এর ফাঁকেই দৌড়াতে হচ্ছে বিভিন্ন দূতাবাসে। আগামী ৩ নভেম্বর ঢাকা ছাড়বেন সিদ্দিকুর। প্রথমে ভারতে খেলবেন হিরো ইন্ডিয়া গলফ টুর্নামেন্টে। এরপর ১১ নভেম্বর ভারত থেকে সরাসরি অস্ট্রেলিয়া। উদ্দেশ্য—বিশ্বকাপ। তবে তার আগে অস্ট্রেলিয়ান মাস্টার্সে খেলে নিজেকে ঝালিয়ে নিতে চান। আপাতত বিশ্বকাপই পাখির চোখ করছেন সাফল্যপিয়াসী সিদ্দিকুর, ‘জয়ের ক্ষুধাটা এখনো মরে যায়নি। কিছু জিতলে বেশি ভালো লাগে। এই ক্ষুধাটা আছে বলেই নিরন্তর খেলে যাচ্ছি।’নাটোর-ঢাকা মহাসড়কের বড়াইগ্রাম উপজেলার আহমঞ্চদপুরে অবরোধকারীদের ফেলে রাখা পাথরের ওপর দিয়ে যাওয়ার সময় ট্রাক উল্টে দুই শ্রমিক নিহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার ভোরে এ ঘটনা ঘটে।বড়াইগ্রাম থানা ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, গতকাল ভোরে সিমেন্টবোঝাই রাজশাহীগামী একটি ট্রাক আহমঞ্চদপুর এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময় মহাসড়কে অবরোধকারীদের ফেলে রাখা বড় একটি পাথরে চাকা উঠে উল্টে যায়। এতে ট্রাকের দুই শ্রমিক সিমেন্টের বস্তার নিচে চাপা পড়ে মারা যান। তাঁরা হলেন রাজশাহীর ভানুরাতানোর গ্রামের হামিদ মিয়ার ছেলে জসিম (২৫) ও নাটোরের সিংড়া উপজেলার বড়বাড়ইহাটী গ্রামের সাইফুল ইসলামের ছেলে শাহীন (২০)।নাটোরের বনপাড়া মহাসড়ক পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক মাসুদ পারভেজ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ময়নাতদন্তের জন্য লাশ নাটোর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে শনিবার রাতে একটি বাড়িসহ সাতটি দোকানে ডাকাতি হয়েছে। ডাকাত দল দোকান ও বাড়ি থেকে স্বর্ণালংকার, টাকাপয়সাসহ দুই লক্ষাধিক টাকার মালমাল লুটে নিয়েছে।উপজেলার গুডুম্বা গ্রামের আবদুল জলিলের বাড়ি ও চন্দনদীঘি বাজারে এ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাতেরা গৃহকর্তা আবদুল জলিলের ছেলে ছায়ফুল ইসলাম (৪৫) ও ছায়ফুলের স্ত্রী হেলেনা বেগমকে কুপিয়ে জখম করেছে। গৃহকর্তা আবদুল জলিল জানান, শনিবার গভীর রাতে ২০-২৫ জনের ডাকাত দল প্রাচীর টপকে তাঁর বাড়িতে ঢুকে। ছেলে ও ছেলের স্ত্রী চিৎকার করায় ডাকাতেরা তাঁদের কুপিয়ে জখম করে ৩৫ হাজার টাকা ও তিন ভরি স্বর্ণালংকার লুটে নেয়। পরে একই ডাকাত দল চন্দনদীঘি বাজারে নৈশপ্রহরীদের একটি ঘরে আটকে রেখে সাতটি দোকান থেকে টাকাপয়সা ও মালামাল লুট করে পালিয়ে যায়। |
আজ ২৯ সেপ্টেম্বর। এই তারিখে জন্মগ্রহণ করায় পাশ্চাত্যমতে আপনি তুলা রাশির জাতক বা জাতিকা। আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ সংখ্যা ২ ও ৬। গুরুত্বপূর্ণ দিন শুক্র ও সোমবার। শুভ রং সাদা, হালকা সবুজ, নীল। শুভ রত্ন চায়নিজ জেড, মুন স্টোন। বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব রবার্ট ফ্লাইভ, ক্রিকেটার ইয়াল চ্যাপেল, বিজ্ঞানী এনরিকো ফেরমি। এবার চলুন জেনে নেওয়া যাক আপনার রাশিতে আজকের পূর্বাভাস:মেষ (২১ মার্চ-২০ এপ্রিল)কর্মস্থলে কাউকে সহযোগিতা করতে গিয়ে নিজের কাজে বিঘ্ন ঘটতে পারে। ব্যবসায় নতুন বিনিয়োগ আশার সঞ্চার করবে। প্রেমের ব্যাপারে অন্যের উসকানিতে গুরুত্ব দেওয়া উচিত হবে না। দূরের যাত্রা শুভ।বৃষ (২১ এপ্রিল-২১ মে)দিনটি শুরু হতে পারে প্রিয়জনের কোনো সুসংবাদ দিয়ে। সামাজিক কর্মকাণ্ডে ব্যস্ততা বৃদ্ধি পেতে পারে। পাওনা আদায়ে প্রভাবশালী কারও সহযোগিতা পাবেন। তীর্থ ভ্রমণের জন্য দিনটি বিশেষ শুভ।মিথুন (২২ মে-২১ জুন)শিল্পকলা কিংবা সমাজকল্যাণমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য সম্মাননা পেতে পারেন। পারিবারিক প্রয়োজনে আজ আপনাকে অন্যের সঙ্গে আপস করে চলতে হবে। দূরের যাত্রা শুভ। প্রেমে সাফল্যের দেখা পাবেন।কর্কট (২২ জুন-২২ জুলাই)বেকারদের কারও কারও জন্য দিনটি সাফল্যের বার্তা বয়ে আনতে পারে। পারিবারিক সমস্যার সমাধানে আপনার উদ্যোগ ফলপ্রসূ হতে পারে। প্রেমের ক্ষেত্রে নতুন সম্ভাবনা উঁকি দিচ্ছে। দূরের যাত্রা শুভ।সিংহ (২৩ জুলাই-২৩ আগস্ট)ফাটকা ব্যবসায় বিনিয়োগের মাধ্যমে লাভবান হতে পারেন। পাওনা আদায় হবে। বেকারদের কারও কারও জন্য দিনটি সৌভাগ্যের বার্তা বয়ে আনতে পারে। আজ কারও প্রেমের আহ্বানে সাড়া দিতে হতে পারে।কন্যা (২৪ আগস্ট-২৩ সেপ্টেম্বর)ব্যবসায়িক প্রয়োজনে প্রতিপক্ষের অন্যায় আবদার ও সাময়িক-ভাবে মেনে নিতে হতে পারে। ভালো লাগার মানুষটি আজ ভালোবাসার মানুষে পরিণত হতে পারে। আর্থিক লেনদেন শুভ। দূরের যাত্রায় সতর্ক থাকুন।তুলা (২৪ সেপ্টেম্বর-২৩ অক্টোবর)শিক্ষা কিংবা গবেষণায় অবদানের জন্য সম্মাননা পেতে পারেন। যেকোনো চুক্তি সম্পাদনের জন্য দিনটি শুভ। ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডে তেজি ভাব বিরাজ করবে। প্রবাসী কারও সঙ্গে রোমান্টিক সম্পর্কের সূচনা হতে পারে।বৃশ্চিক (২৪ অক্টোবর-২২ নভেম্বর)বেকারদের কারও কারও জন্য দিনটি সুফল বয়ে আনবে। পারিবারিক দ্বন্দ্বের অবসান হবে। সৃজনশীল কর্মকাণ্ডের সুবাদে বিদেশযাত্রার সুযোগ আসতে পারে। ভেঙে যাওয়া প্রেমের সম্পর্ক জোড়া লাগতে পারে।ধনু (২৩ নভেম্বর-২১ ডিসেম্বর)দিনটি শুরু হতে পারে প্রিয়জনের কোনো সুসংবাদ দিয়ে। পাওনা আদায় হবে। সামাজিক কর্মকাণ্ডে ব্যস্ততা বৃদ্ধি পেতে পারে। পরকীয়ার অপবাদ ঘুচতে পারে। সৃজনশীল কাজের স্বীকৃতি পাবেন।মকর (২২ ডিসেম্বর-২০ জানুয়ারি)কর্মস্থলে আপনার বিচক্ষণতার কারণে বড় ধরনের বিপর্যয় এড়ানো সম্ভব হতে পারে। পারিবারিক দ্বন্দ্বের অবসান হবে। প্রেমের ক্ষেত্রে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকলেও জয়ের মালা আপনার গলাতেই শোভা পাবে।কুম্ভ (২১ জানুয়ারি-১৮ ফেব্রুয়ারি)ব্যবসায় নতুন বিনিয়োগ আশার সঞ্চার করবে। পারিবারিক প্রয়োজনে অন্যের মতামতকে প্রাধান্য দিতে হতে পারে। সৃজনশীল কাজের স্বীকৃতি পাবেন। ভেঙে যাওয়া প্রেমের সম্পর্ক জোড়া লাগতে পারে।মীন (১৯ ফেব্রুয়ারি-২০ মার্চ)চাকরির জন্য কেউ কেউ বিদেশে আবেদন করে ইতিবাচক সাড়া পাবেন। ব্যবসায় আগের ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার সুযোগ পাবেন। ব্যর্থ প্রেমের ক্ষেত্রে নতুন সম্ভাবনা উঁকি দিচ্ছে। দূরের যাত্রায় সতর্ক থাকুন।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত শনিবার (২৬ অক্টোবর) ফোন করেন বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়াকে। তাঁদের ৩৭ মিনিটের ফোনালাপের বড় অংশজুড়ে ছিল পাল্টাপাল্টি আক্রমণ, ছিল উত্তেজনা।টেলিসংলাপের বিস্তারিত গতকাল বিভিন্ন বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে প্রচারিত হয়েছে। এটি ছড়িয়ে পড়েছে ইউটিউবসহ বিভিন্ন সামাজিক প্রচারমাধ্যমেও। বিষয়টির গুরুত্ব এবং পাঠকের আগ্রহ বিবেচনা করে কথোপকথনটি হুবহু প্রকাশ করা হলো। শুরুতে প্রধানমন্ত্রীর একজন সহকারী (এডিসি) ফোন করেন বিরোধীদলীয় নেতার বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসের মুঠোফোনে।তাঁদের প্রাথমিক কথাবার্তার পর শুরু হয় দুই নেত্রীর কথোপকথন।—আসসালামু আলাইকুম।জি, এডিসি সাহেব।—হ্যাঁ, শিমুল দা, আপনি তো ফোন দিলেন না।না, না। আমরা তো অপেক্ষা করছি আপনার জন্য। ছয়টা থেকে ম্যাডাম বসে রয়েছেন।— না, না আপনাদের তো কল করার কথা।না, এ রকম কোনো কথা তো আপনার সাথে আমার হয়নি। আপনি ছয়টায় ফোন দেবেন। ম্যাডামকে আমি আধা ঘণ্টা ধরে বসিয়ে রেখেছি।— আমি আপনাকে বলিনি যে আমি ফোন দেব। বিকজ আমরা এক্সপেক্ট করছি আপনারা ফোন দেবেন।না, আপনি উল্টা কথা বলছেন। এ ধরনের কোনো কথা হয়নি। আমি ম্যাডামকে বলেছি...—না, আমিও তো বলিনি যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ফোন দেবেন। আমি বলেছি...আপনি টেলিফোন করে মিলিয়ে দেবেন। এটা আপনার ডিউটি।—এটা তো আপনারও ডিউটি আছে যে আপনি টেলিফোন করিয়ে মিলিয়ে দেবেন।ম্যাডাম এখন পর্যন্ত অপেক্ষা করছেন।—আমরা অপেক্ষা করছি আপনার কলের জন্য।ম্যাডাম এখনো বসে আছেন। আপনি দেন, এখনই দেন। ম্যাডামকে দিচ্ছি আমি।—আছেন ওখানে আপনারা?জি, জি। ম্যাডাম এখনো আছেন।—আচ্ছা ওয়েট করেন।খালেদা জিয়া: হ্যালো, হ্যালো।শেখ হাসিনা: হ্যালো, আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন।খালেদা জিয়া: আমি আছি, ভালো আছি।শেখ হাসিনা: আমি ফোন করেছিলাম আপনাকে দুপুর বেলা, পাইনি।খালেদা: দেখেন, এই কথাটা যে বলছেন, তা সঠিক নয়।হাসিনা: আমি আপনাকে জানিয়ে দিতে চাই...খালেদা: আপনাকে প্রথমে আমার কথা শুনতে হবে। আপনি যে বলছেন দুপুরে ফোন করেছিলেন, দুপুরে কোনো ফোন আসেনি। এই কথাটি সম্পূর্ণ সত্য নয়। দুপুরে কোনো ফোন আসেনি আমার এখানে।হাসিনা: আমি রেড ফোনে ফোন দিয়েছিলাম।খালেদা: রেড ফোন তো দীর্ঘদিন ধরে, বছর ধরে ডেড পড়ে আছে। আপনারা গভর্নমেন্ট চালান, কী খবর রাখেন? গভর্নমেন্ট চালাচ্ছেন, এই খবর রাখেন না যে বিরোধীদলীয় নেতার ফোন ঠিক আছে কি না। আর আপনি যদি ফোন করবেনই, তাহলে গতকালই আপনার লোক এসে ফোন ঠিক করিয়ে দেওয়া উচিত ছিল। দেখে যাওয়া উচিত ছিল যে বিরোধীদলীয় নেতার ফোন ঠিক আছে কি না।হাসিনা: রেড ফোন সব সময় ঠিক থাকে।খালেদা: আপনারা লোক পাঠান। এখনই লোক পাঠান। দেখে যান ফোন ঠিক আছে কি না।হাসিনা: আপনি তো প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। আপনি জানেন, রেড ফোন সব সময় ভালো থাকে।খালেদা: ভালো থাকে তো, তবে আমারটা ভালো নেই। আমারটা তো ভালো নেই।হাসিনা: ভালো আছে, আমি যখন ফোন করেছিলাম, সেটা ভালো ছিল।খালেদা: না, সেদিনও চেক করেছি। আপনারা যদি সত্যি কথা না বলেন, তাহলে চলবে না।হাসিনা: আমার সত্যি কথা না বলার তো কিছু নেই। আমি কয়েকবার ফোন দিয়েছি।খালেদা: হঠাৎ করে কি মৃত ফোন জেগে উঠবে? আপনার টেলিফোন এত পাওয়ারফুল যে ডেড ফোন জেগে উঠবে!হাসিনা: ঠিক আছে, যেকোনো কারণেই আপনি ফোনটা ধরতে পারেন নাই।খালেদা: না, ধরতে পারি নাই না। আমি এখানে বসা। আমি এর মধ্যেই ঘুরি। ছোট্ট জায়গা, ছোট্ট জায়গার মধ্যেই আমি ঘুরি। এই ফোন বাজলে আমি না ধরার কোনো কারণ থাকতে পারে না। ডেড ফোন বাজতে পারে না। বুঝেছেন? এটাই হলো সত্যি কথা।হাসিনা: দেখুন, ডেড ছিল, না ডেড করে রাখা হয়েছে...খালেদা: ডেড ছিল। বহু কমপ্লেইন আপনাদের কাছে গেছে। কিন্তু আপনারা তো... রেড ফোনে আমার সাথে কথা বলার লোক নেই। কাজেই আমি কার সাথে কথা বলব?হাসিনা: আমি আগামীকাল দেখব, কেন আপনার ফোন এ রকম ডেড ছিল।খালেদা: সে তো দেখবেন, ভালো কথা।হাসিনা: আমি আপনাকে ফোন করলাম। আগামী ২৮ তারিখে ...সন্ধ্যায় গণভবনে আপনাকে দাওয়াত দিচ্ছি। আপনি জানেন যে আমি ইতিমধ্যেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করছি আগামী নির্বাচন সম্পর্কে। আমি আপনাকে দাওয়াত দিচ্ছি।...গণভবনে আসার জন্য।খালেদা: আপনার যদি সত্যিকারের আন্তরিকতা থাকে আলোচনা করার জন্য, আমার যেতে কোনো আপত্তি নেই। আমি একা যাব না। আমার সঙ্গে নিশ্চয়ই আরও কেউ থাকবে।হাসিনা: আপনি যতজন খুশি নিয়ে আসতে পারেন। সমস্যা নেই।খালেদা: আমি দলবলসুদ্ধ নিয়ে যেতে চাই না। যাঁদের প্রয়োজন মনে করব, তাঁদের নিয়ে যাব। সেটা হতে হবে ২৮ তারিখের পরে। ২৯ তারিখ আমার হরতাল শেষ হওয়ার পরে।হাসিনা: আমি অনুরোধ করব জাতির স্বার্থে, জনগণের স্বার্থে হরতাল প্রত্যাহার করে নেন।খালেদা: না, আমি ২৮ তারিখ যেতে পারব না।হাসিনা: মানুষ খুন করা, আগুন মারা এসব বন্ধ করুন।খালেদা: মানুষ খুন করা আপনাদের কাজ। আমাদের সেসব অভ্যাস নাই। আপনারা মানুষ জ্বালান, মানুষ মারেন, লগি-বৈঠা দিয়ে মানুষ মারেন। এসব রেকর্ডেড। আপনার নির্দেশে এবং আপনার মুখ দিয়েই এই শব্দ বেরিয়েছে। কাজেই এসব আপনি অস্বীকার করতে পারবেন না। আমি বলছি, হরতাল চলবে। ২৯ তারিখ সন্ধ্যায় শেষ হবে, এরপর আলোচনা।হাসিনা: আমি বলছি, দেশের স্বার্থে, জনগণের স্বার্থে দয়া করে এই হরতাল প্রত্যাহার করুন।খালেদা: না, দেশের স্বার্থে, জনগণের স্বার্থেই আমি এই হরতাল দিয়েছি। যেহেতু আপনারা কোনো আলোচনায় আসতে রাজি নন। আপনার মন্ত্রীরা বলছেন, কোনো আলোচনা হবে না। আপনি নিজে বলেছেন, আমাদের প্রস্তাব রিজেক্ট করে দিয়েছেন। কোনো আলোচনার দরকার নেই, এটা আপনারা বলছেন। এখন আবার আলোচনার কথা বলছেন। সেই আলোচনা হতে পারে, আমাদের কর্মসূচি শেষ হওয়ার পর।হাসিনা: আমি আপনাকে অনুরোধ করছি...খালেদা: না, সেটা সম্ভব না। উদ্যোগটা যদি এক দিন আগে নিতেন, সেটা সম্ভব ছিল।হাসিনা: এটা এক দিন আগের বিষয় না। আপনি জানেন, আমি বিভিন্ন দলের সঙ্গে বসছি...খালেদা: আমি জানি, আপনি ব্যস্ত মানুষ। আপনার মতো ব্যস্ত না হলেও আমাদেরও ব্যস্ততা আছে। ইচ্ছা করলে উপায় বের করা যায়। কিন্তু আপনারা সেটা করেননি। কালকে যে আমাদের সমাবেশের পারমিশন দিলেন, এত দেরিতে দিলেন কেন? কত দিন আগে পারমিশন চেয়েছি? মাইক পর্যন্ত লাগাতে দেন না। মানুষ এসে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কথা শুনতে পারে না। এটা কোন দেশের গণতন্ত্রের নমুনা দেখছেন আপনি?হাসিনা: আমি যে সবার সঙ্গে আলোচনা করব, তা কিন্তু বহুদিন আগেই সবাইকে...খালেদা: আমরা যে সমাবেশ করলাম, সেখানে মাইকের পারমিশন দেওয়া কেন হলো না?হাসিনা: না, মাইক তো দেওয়া হয়েছে। কয়েকটা মাইক ছিল।খালেদা: না, আমরা যতদূর ইচ্ছা মাইক দেব। লোক বেশি, শুনবে। লোক আসবে এ জন্য গাড়ি বন্ধ করে দেন, ১৪৪ ধারা জারি করেন। দেশে কি ইমার্জেন্সি চলছে নাকি? দেশে কি যুদ্ধাবস্থা চলছে যে এমন শুরু করে দিলেন আপনারা?হাসিনা: আমি এ ব্যাপারে এখন আপনার সঙ্গে কথা বলতে চাচ্ছি না।খালেদা: কথা বলতে না চাইলে তো কথাই নেই।হাসিনা: কথাগুলো সত্য না। আপনারা তো মিটিং করছেন।খালেদা: আপনারা মিটিং করতে দেবেন মাইক দেবেন না। এমন সময়ে পারমিশন দেবেন, যখন ডায়াসও বানাতে পারব না। আপনারা কি আগে মিটিং করেন নাই?হাসিনা: সব মনে আছে। একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলার কথা মনে আছে...দুই নেত্রীর ফোনালাপ: পার্ট—২ পড়তে ক্লিক করুনজেলার রামগড় উপজেলার মরাকইল্যায় গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় সন্ত্রাসী হামলায় আঞ্চলিক দল ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) এক সদস্য খুন হয়েছেন।জানা যায়, মানিকছড়ি ও রামগড় উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা মরাকইল্যায় একটি চায়ের দোকানে হামলা চালিয়ে ইউপিডিএফের সদস্য গোপাল চাকমা ওরফে তপনকে (৩৮) সন্ত্রাসীরা গুলি করে হত্যা করে। এলাকাটি মানিকছড়ি ও রামগড় উপজেলা—উভয় সদর থেকে ১৭-১৮ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এই হামলার ঘটনার জন্য ইউপিডিএফ সন্তু লারমা-সমর্থিত জনসংহতি সমিতির সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের দায়ী করেছে। গোপাল চাকমা মানিকছড়ি উপজেলার দোজরীপাড়ার মৃত বিজয় চাকমার ছেলে বলে জানা গেছে।নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার হিজলী সোনাপুর উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সেই সুমি আক্তার (১৩) কথা রেখেছে। এবার জেএসসি পরীক্ষায় সে জিপিএ-৪ দশমিক ২৫ পেয়েছে। দুই কবজি হারানো সুমির এই ফলাফলে খুশি তার মা-বাবা, শিক্ষক ও সহপাঠীরা। সুমি বাগাতিপাড়া উপজেলার কলাবাড়িয়া গ্রামের দিনমজুর ফিরোজ উদ্দিনের মেয়ে।গত ১৮ নভেম্বর সুমির এগিয়ে চলা নিয়ে প্রথম আলোয় ‘তবু হারেনি সুমি’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।পরিবারের সদস্যরা জানান, পাঁচ বছর বয়সে শামুক কুড়াতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দুই হাতের কবজি হারায় সুমি। তার দুই বেলার খাবার জোগাড় করাই ছিল বাবা-মায়ের জন্য কষ্টের। সুমির চিকিৎসা আর লেখাপড়ার কথা ভাবতেই পারেননি তাঁরা। কিন্তু দুই বাহুর মাঝে কলম চেপে ধরে বাবা-মায়ের ভাবনার অবসান ঘটিয়েছে সে। সবার বিরোধিতা উপেক্ষা করে পড়ালেখা চালিয়ে এবার জেএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয় সুমি।বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আলী সরকার বলেন, অস্বাভাবিক মনোবল নিয়ে সুমি পড়ালেখা করেছে। বিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার সময় থেকে সে মুখে লিখত। এভাবেই প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা দেয়। তবে ষষ্ঠ শ্রেণীতে ওঠার পর থেকে দুই বাহুতে কলম ধরে লেখা শুরু করে। এখন পর্যন্ত কোনো শ্রেণীতেই সে অকৃতকার্য হয়নি। পড়ালেখার পাশাপাশি খেলাধুলাতেও সে ভালো।ফলাফল ঘোষণার পর সুমি বলে, ‘আমি বাবা-মায়ের ধারণা ভুল প্রমাণ করতে পেরেছি। দুই হাতের কবজি কেটে ফেলায় তাঁরা আমাকে সংসারের বোঝা মনে করেছিলেন। কীভাবে আমার বিয়ে দেবেন সেই চিন্তায় ঘুমাতে পারতেন না। আমি কথা দিয়েছিলাম, লেখাপড়া শিখে সংসারের কষ্ট দূর করব। জেএসসি পরীক্ষার মাধ্যমে এই চেষ্টার দুই ধাপ অতিক্রম করেছি। সবাই দোয়া করবেন, আমি যেন পড়ালেখায় আরও ভালো করতে পারি।’বাবা ফিরোজ উদ্দিন বলেন, ‘এখন বুঝতে পারছি আমার মেয়ের জীবন সফল হবে।’ |
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুসভাপ্রতি বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় বাংলা বিভাগের নিচতলায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুসভার নিয়মিত বৈঠক বসে।জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুসভার সঙ্গে যুক্ত হতে চাইলে বাংলা বিভাগের নিচতলায় নিজ হাতে লেখা জীবনবৃত্তান্ত নিয়ে চলে আসুন।যোগাযোগ: ০১৬৭৬৮৫৮৮৫৪বন্ধুসভায় যোগ দিনকলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া যেসব বন্ধু উত্তরা, ধানমন্ডি ও রামপুরায় স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন, তাঁরা যোগ দিতে পারেন বন্ধুসভার কার্যক্রমে। এই তিন এলাকায় বন্ধুসভার কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। যোগাযোগ করুন: ০১৭১৭৭৫০৭১৭—এই নম্বরে।ডেভিড বেকহামের নামে সুগন্ধি আছে, মারিয়া শারাপোভার নামে ক্যান্ডি চকলেট। কিছুদিন আগে জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচের নামে প্যারিসের এক রেস্তোরাঁর মালিক বাজারে এনেছেন বার্গারও! নোভাক জোকোভিচ কেন পিছিয়ে থাকবেন? সার্বিয়ান এই টেনিস তারকার নামে এবার একটা বিমানের নামকরণ করল এয়ার সার্বিয়া। কিছুদিন আগে সার্বিয়ার ১৪ জন জীবন্ত কিংবদন্তির নামে যাত্রীবাহী বিমানের নামকরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল দেশটির সরকার। জোকোভিচ নামের বিমান দিয়ে শুরু হলো সেই সিদ্ধান্তের বাস্তবায়ন। জাতীয় পতাকার নিচে নিজের নাম দেখে দারুণ গর্বিত ছয়টি গ্র্যান্ড স্লাম জেতা টেনিস তারকা। ওয়েবসাইট।পাবনা সদর উপজেলার রাজাপুর এলাকায় পাবনা-ঢাকা মহাসড়কে গাড়ি ভাঙচুরের দায়ে চার পিকেটারকে ছয় মাসের কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।গত বুধবার সন্ধ্যায় পুলিশ ওই পিকেটারদের আটকের পর ভ্রাম্যমাণ আদালতে হাজির করলে আদালতের বিচারক জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবু তাহের এ আদেশ দেন। সাজা পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন ঈশ্বরদীর দাশুড়িয়া গ্রামের ইফতেখার মাহমুদ, রাজাপুর গ্রামের আল আমিন হোসেন, গয়েশপুর ইউনিয়নের হামিদপুর গ্রামের আবদুল্লাহ আল মামুন ও সুজানগর উপজেলার সাতবাড়িয়া গ্রামের মাসুম বিল্লাহ। তাঁদের মধ্যে ইফতেখার মাহমুদ, আবদুল্লাহ আল মামুন ও মাসুম বিল্লাহ পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজের ইতিহাস বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। তিনজনই কলেজের কামাল উদ্দিন ছাত্রাবাসে থাকেন। তাঁদের মুক্তির দাবিতে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে কলেজের প্রশাসনিক ভবনের সামনে শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করেন।পরীক্ষার ফল প্রকাশ মানেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সর্বত্র আনন্দের জোয়ার। সন্ধ্যার আগেই মিষ্টির দোকান খালি হওয়া। কিন্তু গতকাল রোববার প্রকাশিত জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর দেখা গেল ভিন্ন চিত্র।১৮-দলীয় জোটের কর্মসূচি ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর অবস্থানের কারণে গতকাল স্কুলে স্কুলে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ছিল কম। পাড়া-মহল্লায় বেশির ভাগ মিষ্টির দোকান বন্ধ ছিল। এবার ঢাকা বোর্ডে প্রথম হয়েছে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ। দ্বিতীয় আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ।এ ছাড়া তৃতীয় রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ, চতুর্থ মাইলস্টোন কলেজ, পঞ্চম মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরি হায়ার সেকেন্ডারি স্কুল, ষষ্ঠ ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ, সপ্তম ডেমরার শামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজ, অষ্টম মতিঝিল সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, নবম লালবাগের বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ পাবলিক কলেজ ও দশম ময়মনসিংহের বিদ্যাময়ী সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়।ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ: রাজধানীর বেইলি রোডে স্কুলের কাছাকাছি যাদের বাসা, সেসব শিক্ষার্থীই মূলত স্কুলে হাজির হয়। সংখ্যায় কম হলেও ড্রামের তালে তালে পরস্পরকে জড়িয়ে আনন্দে মেতেছিল মালিহা মোশারফ, ফারিহা ইসলাম, ওয়ারদাতুল জান্নাত, নাফিসা তাবাসসুম, ইশরাত সাবিনা। শুধু জিপিএ-৫ নয়, তাদের স্কুল বোর্ডেও প্রথম। কিন্তু মনও খারাপ। কারণ, তারা অন্য বান্ধবীদের সঙ্গে আনন্দ ভাগ করে নিতে পারছে না।২০১০ সাল থেকে জেএসসি পরীক্ষা শুরু হওয়ার পর এই প্রথম ভিকারুননিসা স্কুল বোর্ডে প্রথম হয়েছে। তা ছাড়া জিপিএ-৫ পাওয়ার হার ৯৭ দশমিক ৯১ শতাংশ। ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মঞ্জু আরা বেগম প্রথম আলোকে বলেন, দুই মাস ধরেই রাজনৈতিক কর্মসূচির কারণে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় বিঘ্ন ঘটেছে। এত বাধাবিঘ্নের পরও ভালো করেছে শিক্ষার্থীরা।মিষ্টি কম থাকায় ছোট ছোট টুকরায় ভাগ করে শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষার্থীদের মুখে তুলে খাইয়ে দেন অধ্যক্ষ মঞ্জু আরা। অভিভাবকসহ সবাইকে এ সাফল্যের জন্য ধন্যবাদ দিয়ে তিনি জানান, এবার স্কুলের এক হাজার ৪৮৯ জন জেএসসি পরীক্ষার্থীর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে এক হাজার ৪৫৭ জন। পাসের হার ৯৯ দশমিক ৯৩ শতাংশ।আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ: গতকাল মতিঝিলে আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজে জেএসসি উত্তীর্ণদের আনন্দ-উল্লাসে নীরব-নির্জন এলাকা যেন কিছুক্ষণের জন্য প্রাণ ফিরে পায়।রাজনৈতিক কারণে রাজধানীর আরামবাগে স্কুলে চারপাশে কোথাও দোকান খোলা ছিল না। রাস্তায় শুধু টহল। শতাধিক শিক্ষার্থী ড্রাম বাজিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশে ব্যস্ত।ইচ্ছা থাকলেও জিপিএ-৫ পাওয়া তাহসিন কবির বিদ্যালয়ে যায়নি। প্রথম আলোকে সে জানায়, ‘বাসায় বসে টেনশন করেছি। বাবা ফল এনেছেন, এরপর বন্ধুদের সঙ্গে ফোনে আনন্দ ভাগাভাগি করেছি।’আফসানা হোসেইনের মভালো ফলাফলে আনন্দে কেঁদে বুক ভাসাচ্ছেন মা সেলিনা আক্তার। বারবার স্মরণ করছেন আফসানার বাবা জাহেদ হোসনকে। তিনি দুই বছর আগে ইতালিতে কর্মরত অবস্থায় অসুস্থ হয়ে মারা যান। অধ্যক্ষ শাহান আরা বেগম স্কুলের অন্য শিক্ষকদের মিষ্টি খাইয়ে আনন্দ প্রকাশ করেন। তিনি জানান, স্কুলের শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের পরিশ্রমই এই ফলাফলের মূল কারণ। |
মেয়েটির নাম ভাবনা। কোনো এক ভাবুকছেলের বাহুডোরে পড়েছিল বাঁধা।তারপর দুজন হাওয়ায় উড়াল ঘুড়ি,নায়ে তুলল পাল। ঘুরে বেরাল মাঠ-ঘাট, তেপান্তর।ছুঁয়ে দেখল চাঁদ-তারা, নক্ষত্র।পাখির গান তুলে নিল আপন ঠোঁটে,প্রজাপতির ডানায় পাড়ি দিল পুষ্প বাগান।দুজনার স্বপ্নগুলো মেলে দিল ডানা,ভাবনার ভাবনা জুড়ে ভাবুক ছেলেটা।ছেলেটারও বুঝি ভাবনাই শেষ ঠিকানা। সব সুরযেন মিলেমিশে বেজে ওঠে সুখের বীণা।কিন্তু তারও পর...ভাবুক ছেলেটা ভালোবাসে কবিতাসারাদিন কেবল বর্ণ-শব্দ-বাক্যের খেলাভাবনার চেয়ে কবিতাই সব এখন,ভাবনার ভাঙে মন। কবিতা হয়ে ওঠেভাবনার প্রতিদ্বন্দ্বী। অথচ সারা কাব্য জুড়েইকেবল ভাবনার প্রতিচ্ছবি।তবে কী করবে এখন ভাবুক ছেলেটা?গাড়ি যখন চালাবেন, বৈধ লাইসেন্স করে নিলেই হয়। সেটি না করে জাল লাইসেন্স বানাতে গিয়ে ফ্যাসাদে পড়ে গেছেন নিউক্যাসলের মিডফিল্ডার চেক তিওতে। জাল লাইসেন্স বানাতে যাওয়ার অপরাধে তাঁকে সাত মাসের স্থগিত নিষেধাজ্ঞা-জেল দিয়েছেন নিউক্যাসলের ক্রাউন আদালত। মানে, একই অপরাধ আরেকবার করলে সাত মাস জেল খাটতে হবে! ঘটনাটা বেশ আলোড়িত হওয়ার মতো। তিওতের বাড়ি আইভরি কোস্টে। খেলেন ইংল্যান্ডে। অথচ ১৫ হাজার ইউরো খরচ করে একটা নকল লাইসেন্স কিনে আনেন বেলজিয়াম থেকে। এটা জমা দিয়েই যুক্তরাজ্যের আসল লাইসেন্স বের করার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু ধরা পড়লেন শেষ পর্যন্ত! ওয়েবসাইট।বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় গুলিতে নিহত যুবদল নেতা ইউসুফ আলীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ। গত বুধবার শাজাহানপুর থানায় করা মামলায় ইউসুফকে ২ নম্বর আসামি করা হয়েছে। ইউসুফ বগুড়া পৌরসভার ২১ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।শাজাহানপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আ ন ম আবদুল্লাহ আল হাসান দাবি করেন, পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে ইউসুফ মারা গেলেও ঘটনার সময় তিনি পুলিশের ওপর হামলা করেছিলেন। তাই মামলায় তাঁকে আসামি করা হয়েছে। এতে আইনগত কোনো বাধা নেই। প্রয়োজনে তদন্ত শেষে তাঁর নাম বাদ দেওয়া হবে।তবে বগুড়ার আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) হেলালুর রহমান জানান, আইনগতভাবে মৃত ব্যক্তিকে আসামি করার সুযোগ নেই। তবে বাদীর অজ্ঞাতে কোনো মৃত ব্যক্তিকে আসামি করা হয়ে থাকলে অভিযোগপত্র দাখিলের সময় তাঁর নাম বাদ দিতে হবে।দেশের এক হাজার ৬০টি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ কেন্দ্রে স্বাভাবিক প্রসবসেবা দেওয়া হচ্ছে। প্রতি মাসে এসব কেন্দ্রে গড়ে হাজার শিশুর স্বাভাবিক জন্ম হচ্ছে। গতকাল রোববার রাজধানীর একটি হোটেলে ইউনিয়ন পর্যায়ে সপ্তাহে সাত দিনের ২৪ ঘণ্টা প্রসবসেবা কার্যক্রমবিষয়ক কর্মশালায় এই তথ্য দেওয়া হয়। পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর এই কর্মশালার আয়োজন করে।অনুষ্ঠানে জানানো হয়, সরকার স্বাভাবিক প্রসবসেবা উৎসাহিত করছে। এই উদ্দেশ্যে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ কেন্দ্রে প্রশিক্ষিত জনবল দেওয়াসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বাড়িয়েছে। দেশের তিন হাজার ৮৬০টি কেন্দ্রে সরকার এই সেবা চালু করতে চায়।মা ও শিশু স্বাস্থ্য কর্মসূচির উপকর্মসূচি ব্যবস্থাপক শিমুল কলি হোসেন মূল উপস্থাপনায় বলেন, ২০১২ সালে ৬১৫টি কেন্দ্রে স্বাভাবিক প্রসবসেবা দেওয়া হতো। এখন এক হাজার ৬০ কেন্দ্রে এই সেবা দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, বেসরকারি ক্লিনিকে গেলে অনেক ব্যয় করতে হয়। সরকারি এই সেবায় দরিদ্র মানুষ বেশি উপকৃত হচ্ছে। |
রংপুরের পীরগাছা উপজেলার চৌধুরানী ফাতেহিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ খাদেমুল ইসলামের বিরুদ্ধে মাদ্রাসার জমি বিক্রি, বন্ধক, সংরক্ষিত তহবিলের টাকা আত্মসাৎসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে।অধ্যক্ষের অনিয়ম ও দুর্নীতি তদন্ত সাপেক্ষে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে মাদ্রাসার সব শিক্ষক, কর্মচারীরা জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ (ইউএনও) সংশ্লিষ্ট দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন।অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কৈকুড়ী ইউনিয়নের ওই মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ক্ষমতার অপব্যবহার করে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সিদ্ধান্ত ছাড়াই মাদ্রাসার আট একর জমি ছয় লাখ টাকা বন্ধক রাখেন। একইভাবে তিনি ১ দশমিক ৪৮ একর জমি প্রায় ৪০ লাখ টাকায় বিক্রি করে সব টাকা আত্মসাৎ করেন। সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা যায়, অধ্যক্ষ মাদ্রাসায় নেই। ৮ সেপ্টেম্বর থেকে হাজিরা খাতায় তাঁর স্বাক্ষর নেই এবং ছুটির দরখাস্তও নেই।অধ্যক্ষের অনুপস্থিতির কারণ জানতে চাইলে শিক্ষক-কর্মচারীরা বলেন, তিনি দুই বছর ধরে নিয়মিত মাদ্রাসায় আসেন না। মাঝেমধ্যে খুব সকালে এসে নৈশপ্রহরীর মাধ্যমে দরজা খুলে হাজিরা খাতায় সই করে চলে যান। মাদ্রাসার শিক্ষক শহিদুল ইসলাম, ওসমান গণি ও লিয়াকত আলী বলেন, অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গত ২৯ জুন জেলা প্রশাসক ও ইউএনওসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করা হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো তদন্ত করা হয়নি।মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ এ জেড এম রুহুল কুদ্দুছ বলেন, ২০০৯ সালের ৩০ জুন থেকে আলিম এবং চলতি বছরের ৩০ জুন থেকে ফাজিল শাখার মঞ্জুরি নেই এবং অধ্যক্ষ মঞ্জুরি নবায়ন করারও কোনো উদ্যোগ নেননি। তিনি আরও বলেন, দুই বছর ধরে অধ্যক্ষ নিয়মিত মাদ্রাসায় না এসেও বেতন-ভাতা উত্তোলন করছেন। এতে মাদ্রাসার প্রশাসনিক ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। তিনি মাদ্রাসাটিকে ধ্বংস করে দিয়েছেন।অধ্যক্ষ খাদেমুল ইসলামের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি অনিয়ম ও দুর্নীতির কথা অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, মাদ্রাসার জমি কমিটির সদস্যদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিক্রি করা হয়েছে। নিয়মিত না এসেও বেতন-ভাতা উত্তোলন প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি শেখ মো. নূরুল ইসলাম বলেন, মাদ্রাসার জমি বিক্রি ও বিভিন্ন অনিয়মের কারণে অধ্যক্ষকে ১৩ মে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি এর কোনো জবাব দেননি। মাদ্রাসার জমি বিক্রির ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘পরিচালনা কমিটির সিদ্ধান্ত ছাড়াই অধ্যক্ষ জমি বিক্রি করেছেন, জমি বিক্রির বিষয়ে আমি বা পরিচালনা কমিটির সদস্যরা কিছুই জানি না। কমিটির সভা ডেকে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’বল হাতে তাঁর স্পিন-জাদুর কথা সবারই জানা। গ্রায়েম সোয়ান মাঠের মতো গানের মঞ্চেও সমান দক্ষ! সুরেলা কণ্ঠে গান তো গাইতে পারেনই, ইংলিশ স্পিনার অন্যের কণ্ঠ নকল করতেও বেশ ওস্তাদ! সোয়ানের এই গোপন প্রতিভার খবর ফাঁস করে দিয়েছেন ইংলিশ গিটারিস্ট অ্যান্ডি অ্যাফোর্ড। একসময় অ্যাফোর্ডও বাঁ-হাতি স্পিনে দিশেহারা করতেন ব্যাটসম্যানদের। প্রথম দিকে সোয়ানের সঙ্গে একটা ব্যান্ডে পারফর্ম করতেন অ্যাফোর্ড। সেই সূত্রে সোয়ানের সংগীতপ্রতিভা দেখে রীতিমতো মুগ্ধ তিনি। সোয়ান অন্যকে নকল করতে খুব ভালোবাসেন, কমেডি কণ্ঠটাও ভালো, জানাচ্ছেন ক্রিকেট ছেড়ে সংগীতে ডুবে যাওয়া অ্যাফোর্ড। ওয়েবসাইট।নিজ জেলা চুয়াডাঙ্গায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিব উদ্দীন আহমেদের কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়েছে। জেলা ছাত্রদলের পক্ষ থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে স্থানীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়। ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা এরপর সিইসির বিরুদ্ধে স্লোগান দেন এবং মিছিল নিয়ে শহর প্রদক্ষিণ করেন।আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম গতকাল রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘সংকটে বাংলাদেশ: নাগরিক ভাবনা’ শীর্ষক সংলাপে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কোনো প্রতিনিধিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। সংলাপের যৌথ আয়োজক বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি), ট্রান্সপারেন্সি ইন্ট্যারন্যাশনাল, বাংলাদেশ (টিআইবি), আইন ও সালিশ কেন্দ্র এবং সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) এক প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছে, সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের এ বক্তব্য সঠিক নয়।আয়োজক চারটি প্রতিষ্ঠানের পক্ষে গতকাল সিপিডির পরিচালক আনিসাতুল ফাতেমা ইউসুফের পাঠানো বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ২৪ ডিসেম্বর টেলিফোনে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ও আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান এইচ টি ইমামকে সংলাপে উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ করলে তিনি সম্মতি দেন। সংলাপের দিন আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশের কারণে ২৫ ডিসেম্বর তিনি অপারগতা প্রকাশ করেন। প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা গওহর রিজভীকে উপস্থিত থাকতে অনুরোধ করেন সিপিডির চেয়ারম্যান। আওয়ামী লীগের সভানেত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরীকে আমন্ত্রণ জানানো হলে তিনিও উপস্থিত থাকার সম্মতি দেন।বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ই-মেইল, খুদে বার্তা বা সরাসরি ফোনের মাধ্যমে আরও যাঁদের আমন্ত্রণ জানানো হয়, তাঁদের মধ্যে আছেন আওয়ামী লীগের নেতা সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, মোহাম্মদ নাসিম, কে এম সফিউল্লাহ, নূহ-উল-আলম লেনিন, উপাধ্যক্ষ আবদুস শহীদ, ফারুক খান, আব্দুর রাজ্জাক, সাবের হোসেন চৌধুরী, মেহের আফরোজ চুমকী, রহমত আলী, আসাদুজ্জামান নূর, ইসরাফিল আলম, সাগুফতা ইয়াসমিন প্রমুখ। এ ছাড়া সরকারের মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ সংলাপে উপস্থিত থাকতে সম্মত হন, কিন্তু ঘন কুয়াশার কারণে তাঁর বিমান চট্টগ্রাম থেকে ২৭ ডিসেম্বর রাতে ঢাকায় অবতরণ করতে না পারায় তিনি অংশ নিতে পারেননি। বিজ্ঞপ্তি। |
আবেগের সলতেয় জ্বলে আছে নিবু নিবু ভালোবাসা।সময়ের ফাঁক গলে হারিয়ে গেছে অধিকারের শক্তি।অনাথ হয়ে ঘুরে বেড়ায় বাষ্পিত স্মৃতিগুলো।সাক্ষীরা হাজির হয় বেখাপ্পা চেহারায়।জেরা করে ধবল মেঘ, খই ফোটা কাশফুল।আমি নিরুত্তর, নির্বাক চেয়ে থাকি।মনে মনে শুধু এইটুকু বলি—আমি তো শরৎ চিনেছি তাঁকে চিনে।জেনিত সেন্ট পিটসবার্গের রাশিয়ান স্ট্রাইকার আন্দ্রে আরশাভিন একজন ফ্যাশন ডিজাইনারও। এ ছাড়া তাঁর লেখা একটি বইয়ের নাম নারী, অর্থ, খেলা আর রাজনীতি নিয়ে ৫৫৫ প্রশ্নোত্তর।নারী ও কন্যাশিশুর প্রতি সব ধরনের নির্যাতন প্রতিরোধে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার বারৈচা বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন বেলাব মহিলা পরিষদের জেলা শাখার সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির সমাজকল্যাণ সম্পাদক রাবেয়া খাতুন। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা জেরিন সুলতানা। উপস্থিত ছিলেন বারৈচা বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি আবদুর জব্বার, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক তাইজ উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ। নরসিংদী প্রতিনিধি।রাজশাহীতে এবার ককটেল বিস্ফোরণে জামায়াতে ইসলামীর এক নেতা ও তাঁর ভাইয়ের দুই শিশুসন্তান আহত হয়েছে। তাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।দুই শিশুর নাম আহসানুল হক বান্না (১০) ও আবু মুসান্না (৫)। বান্নার বাবা আবদুস সামাদ নগরের ৩০ নম্বর ওয়ার্ড জামায়াতের আমির। আবু মুসান্না আবদুস সামাদের ভাই আবদুস সালামের ছেলে।হাসপাতালে নিউরো সার্জারি বিভাগে গিয়ে দেখা যায়, বান্নার মাথায় ব্যান্ডেজ করা হয়েছে। তার চেতনা আছে। কথা বলতে চাইলে বোরকা পরা দুজন নারী শিশুটির মুখ চেপে ধরেন। মুসান্নার বাবা আবদুস সালাম জানান, আমবাগানে খেলার সময় কেউ তাদের দিকে ককটেল ছুড়ে মেরেছে। তবে মহানগর পুলিশের উপকমিশনার শাহ গোলাম মাহমদু জানান, আবদুস সালামের বাড়ির পাশে দুই শিশু খড় জ্বালিয়ে আগুন পোহাচ্ছিল। এ সময় খড়ের ভেতর থেকেই ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। |
সময়ের নানা কামরায় (কাব্যগ্রন্থ)অপূর্ব সোহাগপ্রচ্ছদ: শিবু কুমার শীলপ্রকাশক: গদ্যপদ্যচারবারের সেরা লিওনেল মেসি, না অন্য কেউ? কে হবেন এবারের ফিফা ব্যালন ডি’অঁর জয়ী? জানতে অপেক্ষা করতে হবে ১৩ জানুয়ারি পর্যন্ত। সুইজারল্যান্ডের জুরিখে সেদিনই ঘোষণা করা হবে ২০১৩ সালের ফিফা বর্ষসেরা ফুটবলারের নাম। গতকাল প্রকাশ করা হয়েছে পুরস্কারের দাবিদার ২৩ জনের সংক্ষিপ্ত তালিকা।খুব প্রত্যাশিতভাবেই এ তালিকায় জায়গা পেয়েছেন মেসি, ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো, নেইমার, ফ্রাঙ্ক রিবেরি, আরিয়েন রোবেন আর জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচের মতো নামীদামি তারকারা। তাঁদের মধ্য থেকেই ফিফা সদস্য দেশগুলোর অধিনায়ক, কোচ ও সাংবাদিকদের ভোটে সেরা তিনজনের নাম প্রকাশ করা হবে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে। এই তিনজনের যেকোনো একজনই হবেন এ বছরের ফিফা ব্যালন ডি’অঁর জয়ী।এ বছর ফিফা বর্ষসেরা কোচের জন্য মনোনীত ১০ জনের নামও কাল প্রকাশ করা হয়েছে। ব্যলন ডি’অরের রাতে ঘোষণা করা হবে সেরা কোচ, সেরা নারী ফুটবলার, ফিফা বর্ষসেরা একাদশ ও সবচেয়ে সুন্দর গোলের জন্য পুসকাস পুরস্কার।মনোনীত ২৩ ফুটবলারগ্যারেথ বেল, এডিনসন কাভানি, রাদামেল ফ্যালকাও, ইডেন হ্যাজার্ড, জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচ, আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা, ফিলিপ লাম, রবার্ট লেভানডফস্কি, লিওনেল মেসি, টমাস মুলার, ম্যানুয়েল নয়্যার, নেইমার, মেসুট ওজিল, আন্দ্রেয়া পিরলো, ফ্রাঙ্ক রিবেরি, আরিয়েন রোবেন, ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো, বাস্তিয়ান শোয়েইনস্টেইগার, লুইস সুয়ারেজ, থিয়াগো সিলভা, ইয়া ইয়া তোরে, রবিন ফন পার্সি, জাভি।মনোনীত ১০ কোচকার্লো আনচেলত্তি, রাফায়েল বেনিটেজ, আন্তনিও কন্তে, ভিসেন্তে দেল বস্ক, স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসন, ইয়ুপ হেইঙ্কেস, ইয়ুর্গেন ক্লপ, হোসে মরিনহো, লুইস ফেলিপে স্কলারি, আর্সেন ওয়েঙ্গার। ফিফা ডটকম।ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সাদেকপুর গ্রামে পৃথক সংঘর্ষে তিন ব্যক্তি খুনের ঘটনায় সালিসে প্রায় দেড় কোটি টাকায় আপসরফা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ ও বিএনপির স্থানীয় নেতারা সালিস বসিয়ে সেসব খুনের ঘটনায় আপসরফা করেন। সাদেকপুর গ্রামে এক বছরে ওই তিন খুনের ঘটনা ঘটে। গত বছরের ২৬ অক্টোবর খুন হন নাছির উদ্দিন। এ ঘটনায় এলাকার স্থানীয় সাদেকপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেনকে প্রধান আসামি করে ৪৪ জনের বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানায় একটি মামলা হয়। ইকবালের ভাই মিজানুর রহমান এই মামলার দুই নম্বর আসামি।নাছির হত্যার জের ধরে গত ১৮ অক্টোবর ইকবাল হোসেন ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল হাই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে শামসুল ইসলাম ও ইসমাইল মিয়া নিহত হন। সামসুল হত্যার ঘটনায় শওকত আলীকে প্রধান আসামি করে ৫৩ জনের বিরুদ্ধে এবং ইসমাইল হত্যার ঘটনায় আবদুস সালামকে প্রধান আসামি করে ১১২ জনের বিরুদ্ধে পৃথক মামলা হয়।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এসব হত্যাকাণ্ডের ঘটনা মীমাংসা করতে এক মাস ধরে এলাকার জনপ্রতিনিধি এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা তৎপরতা চালান। গত শনিবার তারা স্থানীয় ধামচাইল বাজারে সালিস বৈঠকে বসেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নূরে আলম সিদ্দিকী বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। সভায় অন্যদের মধ্যে সাদেকপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম, আওয়ামী লীগ নেতা হামিদুল হক ওরফে হামদু ও বিএনপি নেতা সায়েদুল হক সাঈদসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।শনিবার দুপুর দুইটায় শুরু হয়ে রাত ১১টা পর্যন্ত সালিস চলে। তালিকাভুক্ত প্রায় ১৬০ জন সর্দার আপসরফার দায়িত্বে ছিলেন। এর মধ্যে জুরি বোর্ডে অংশ নেন ৪৫ জন। তারা প্রতি খুনের জন্য ৪০ লাখ টাকা করে জরিমানা নির্ধারণ করেন। এর বাইরে ঘটনার সময় ভাঙচুরের জন্য ইকবাল হোসেনকে ১০ লাখ টাকা এবং আবদুল হাইকে ১২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। বিএনপি নেতা নূরে আলম সিদ্দিকী প্রথম আলোকে বলেন, মোট হিসেবে ইকবাল হোসেনের পক্ষকে ৯২ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং আবদুল হাইয়ের পক্ষকে ৫৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানা পরিশোধের জন্য দুই মাস সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এভাবে কোনো হত্যাকাণ্ডের মীমাংসা করা যায় কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে নূরে আলম বলেন, ‘আমরা হত্যার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের অর্থনৈতিকভাবে চাপে ফেলতে এই রায় দিয়েছি। এ ধরনের রায়ের কারণে তারা ভবিষ্যতে আর অপরাধ করবেন না বলে মনে করছি।’ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম বলেন, দেশের সব জায়গাতেই এভাবে হত্যার আপসরফা হচ্ছে।ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম এ করিম বলেন, এ ধরনের খুনের ঘটনার আপসরফা আইনত বৈধ নয়। এ ধরনের নজির খুনের মতো জঘন্য অপরাধকে উৎসাহিত করবে।জানতে চাইলে পুলিশ সুপার মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘আপস-নিষ্পত্তির বিষয়টি আমি শুনেছি। এ ঘটনায় আমাদের অবস্থান পরিষ্কার। বিচারাধীন মামলা নিজ গতিতে চলবে। এমন আপসরফা আইনত গ্রহণযোগ্য নয়।’বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮-দলীয় জোটের ঢাকা অভিমুখে ‘গণতন্ত্রের অভিযাত্রা’ কর্মসূচি ঠেকাতে গত শুক্রবার থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি সক্রিয় ছিলেন আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা। গতকাল রোববার তাঁদের বাধার মুখে সড়ক, নৌ ও রেলপথে ঢাকামুখী মানুষ বিভিন্ন স্থানে আটকা পড়ে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়ে তারা।টঙ্গী-আবদুল্লাহপুরে যৌথ বাহিনী নিরাপত্তা তল্লাশির নামে সীমাহীন বাড়াবাড়ি করেছে বলে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেন। এঁদের সঙ্গে ছিলেন আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতা-কর্মীরা। টঙ্গী স্টেশন রোডে একটি অ্যাম্বুলেন্সের গতি রোধ করেন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। রোগী দেখার পরও সেটি অন্য পথে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়।রাজধানীর অন্যতম প্রবেশপথ প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বুড়িগঙ্গা সেতুতে পুলিশের উপস্থিতির পাশাপাশি নেতা-কর্মীদের লাঠিসোঁটা নিয়ে মহড়া দিতে দেখা গেছে। এসব পথে কাউকে পায়ে হেঁটেও ঢাকায় যেতে দেওয়া হয়নি।ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার মৌচাক, চন্দ্রা ত্রিমোড়, খাড়াজোড় ও বাইপাস এলাকায় ব্যারিকেড দিয়ে যানবাহন থামিয়ে যাত্রীদের নামিয়ে দেওয়া হয়।ভোর থেকে সাভার বাসস্ট্যান্ড, গেন্ডা, হেমায়েতপুর ও মধুমতি মডেল টাউনের কাছে ভাকুর্তা সেতুর মোড় এলাকায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করেন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। অটোরিকশাচালক শফিকুল ইসলাম গতকাল ভোরে হেমায়েতপুরে যাত্রী নিয়ে যাওয়ার সময় সাভার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় হকার্স লীগের নেতা-কর্মীরা অটোরিকশার গতি রোধ করে তাঁকে লাঞ্ছিত করে যাত্রীদের নামিয়ে দেন।বেলা ১১টার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ঢাকা-১৯ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী এনামুর রহমান ও ঢাকা জেলা পরিষদের প্রশাসক হাসিনা দৌলার নেতৃত্বে লাঠিমিছিল নিয়ে সাভার বাসস্ট্যান্ড এলাকার দিলকুশা মার্কেটের সামনে মহাসড়কে বসে পড়েন।রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে দক্ষিণাঞ্চল থেকে ছেড়ে আসা দূরপাল্লার যাত্রীবাহী বাস পুলিশের বাধায় ফিরে গেছে। এ সময় ঘাটে আসা অন্য যাত্রীরাও নদী পাড়ি দিতে না পেরে চরম দুর্ভোগের শিকার হন।বাসযাত্রী ঢাকার মিরপুরের হানিফ মোল্লা বলেন, ‘কলকাতায় পরিবারের সদস্যদের চিকিৎসা শেষ করে শনিবার রাত নয়টায় তাঁদের গাড়ি দৌলতদিয়া ঘাটে পৌঁছায়। সারা রাত এখানে গাড়িতে বসে ছিলাম।’ খুলনা থেকে শনিবার রাতে ৩১ জন যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসা হানিফ পরিবহনের বাসচালক কামাল মিয়া গতকাল বেলা একটায় এই ঘাটে পুলিশের বাধায় পড়েন।নারায়ণগঞ্জের ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সাতটি স্থানে যানবাহনে ব্যাপক তল্লাশি চালায় পুলিশ। ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ পথে কাউন্টার সার্ভিস বাস চলাচল বন্ধ ছিল। দ্বিতীয় দিনের মতো ট্রেন চলাচলও বন্ধ ছিল। নরসিংদী থেকে বিএনপির নেতা খায়রুল কবিরের নেতৃত্বে বিএনপির কয়েক শ নেতা-কর্মী গাড়িবহর নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে আসার পথে আড়াইহাজারে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বাধার মুখে পড়েন। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে পুলিশের তিন সদস্যসহ ২০ জন আহত হন।কিশোরগঞ্জ-ঢাকা পথে চলাচলকারী আন্তনগর এগারসিন্দুর ট্রেন গতকালও চলেনি। বন্ধ রয়েছে কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস ও ঈশা খাঁ এক্সপ্রেস। দুই দিন ধরে এসব ট্রেন বন্ধ থাকায় হাজার হাজার যাত্রী আটকা পড়ে।[প্রতিবেদন তৈরিতে সহায়তা করেছেন: নিজস্ব প্রতিবেদক, সাভার ও কিশোরগঞ্জ এবং নারায়ণগঞ্জ, কেরানীগঞ্জ (ঢাকা), গাজীপুর, টঙ্গী ও গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি] |
গাইবান্ধার রংপুর চিনিকলে তিন হাজার ২৪৬ মেট্রিক টন চিনি অবিক্রীত রয়ে গেছে। এসব চিনি বস্তাবন্দী অবস্থায় দুই বছর ধরে গুদামে পড়ে থেকে গলে যাচ্ছে।এদিকে আগামী নভেম্বরে ২০১৩-১৪ মৌসুমের আখ মাড়াই শুরু হবে। উৎপাদিত এ চিনি কোথায় রাখা হবে, তা নিয়েও কর্তৃপক্ষ চিন্তিত। পাশাপাশি চিনি বিক্রি না হওয়ায় শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা দেওয়া যাচ্ছে না।চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল খালেক বলেন, দেশের বেসরকারি চিনিকলে উৎপাদিত প্রতি কেজি চিনি ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প সংস্থা নিয়ন্ত্রিত চিনিকলে উৎপাদিত প্রতি কেজির মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০ টাকা। ফলে সরকারি চিনিকলে গত দুই মৌসুমে উৎপাদিত অধিকাংশ চিনি অবিক্রীত থেকে গেছে। এই চিনির মূল্য ১৬ কোটি ২৩ লাখ টাকা।তিনি আরও জানান, গত দুই বছরে এখান থেকে মাত্র এক হাজার মেট্রিক টন চিনি বিক্রি হয়েছে। এর অর্ধেক রেশন প্রদানের জন্য পুলিশ বিভাগ কিনেছে। বাকিটা রপ্তানি করেছে সরকার।চিনি গলে যাওয়ার কথা স্বীকার করে ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরও বলেন, দ্রুত এ চিনি বিক্রি করা না গেলে এর গুণগতমান খারাপ হবে। তখন বিক্রিতে আরও সমস্যা হবে।চিনিকল সূত্র জানায়, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নে অবস্থিত এ মিলে গত দুই মৌসুমে তিন হাজার ২৪৬ মেট্রিক টন চিনি উৎপাদন হয়। মিলের তালিকাভুক্ত ডিলারদের চিনি তুলে বিক্রি করার কথা। কিন্তু মিলের ১৫ জন ডিলার গত দুই মৌসুমে এক বস্তা চিনিও তোলেননি।মিলের মহিমাগঞ্জ এলাকার ডিলার আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘সরকার নির্ধারিত দরের চেয়ে খোলাবাজারে চিনির দাম কম। এখান থেকে চিনি তুললে লোকসান গুনতে হবে। তাই তুলিনি।’রংপুর চিনিকল আখচাষি কল্যাণ গ্রুপের সভাপতি জিন্নাত আলী প্রধান অভিযোগ করেন, চিনিশিল্প সংস্থার ভুল নীতির কারণে এ মিলে এত চিনি অবিক্রীত রয়েছে। সংস্থাটি বেসরকারি চিনিকলগুলোর সঙ্গে বাজারে চিনির মূল্য কী হবে, তা নির্ধারণ করেনি। তাই চিনিকলকে বিপাকে পড়তে হয়েছে।ঘরোয়া ক্রিকেটে জীবনের শেষ ইনিংস খেলতে নামলেন। হরিয়ানার দেওয়া ২৪০ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে মুম্বাইয়ের সংগ্রহ তখন ২ উইকেটে ৮৭। আরও একবার দলকে টেনে তোলার দায়িত্ব চাপল শচীন টেন্ডুলকারের কাঁধে।দিন শেষে স্কোর বোর্ড জানাচ্ছে, উইকেটে ভারতীয় ব্যাটিং জিনিয়াস আছেন তাঁর উপস্থিতি জানান দিয়েই। লাহলির বংশী লাল স্টেডিয়ামে তৃতীয় দিন শেষে টেন্ডুলকার অপরাজিত ৫৫ রানে, মুম্বাই ৬ উইকেটে ২০১। রঞ্জিতে হরিয়ানার বিপক্ষে চার দিনের ম্যাচটা জিততে আর মাত্র ৩৯ রান দরকার মুম্বাইয়ের, শত রান থেকে টেন্ডুলকার এখন ৪৫ রান দূরত্বে। প্রথম ইনিংসে মাত্র ৫ রান করে মোহিত শর্মার বলে বোল্ড হয়েছিলেন। দ্বিতীয় ইনিংসে যত দারুণই খেলুন, ঘরোয়া ক্রিকেটে জীবনের শেষ ইনিংসে সেঞ্চুরি করা সম্ভব হবে না টেন্ডুলকারের! এ আফসোসটুকু নিয়েই হয়তো আজ শেষ হবে ঘরোয়া ক্রিকেটে তাঁর পথচলা। ক্রিকইনফো।সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেমিকৌশল ও পলিমার বিজ্ঞান বিভাগের দুই ছাত্র দীপঙ্কর ঘোষ ও খায়রুল কবির হত্যা মামলার রায় আগামী ১৯ ডিসেম্বর ঘোষণা করা হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার এ মামলায় রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আদালত রায়ের এই তারিখ ধার্য করেন।আদালত-সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত বুধবার সিলেটের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে দীপঙ্কর ও খায়রুল হত্যা মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু হয়। গতকাল বিকেলে উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়। এরপর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক দিলীপ কুমার দেবনাথ ১৯ ডিসেম্বর মামলার রায়ের তারিখ নির্ধারণ করেন।যোগাযোগ করা হলে রাষ্ট্রপক্ষের বিশেষ সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) কিশোর কুমার কর প্রথম আলোকে বলেন, ‘আশা করি, আমরা মামলাটি আদালতে সুষ্ঠুভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি। তাই আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি আদালতে দাবি করেছি।’মামলার এজাহারের বিবরণ অনুযায়ী, ২০১১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেমিকৌশল ও পলিমার বিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের দ্বিতীয় সেমিস্টারের ছয় সহপাঠীসহ আটজন সিলেটের চেঙ্গেখাল নদীতে নৌকা ভ্রমণে যান। এ সময় দুর্বৃত্তদের হামলায় দীপঙ্কর ঘোষ ও খায়রুল কবির নিহত হন। এ ঘটনার পরদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ইশফাকুল হোসেন বাদী হয়ে সিলেটের জালালাবাদ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। নৌকার মাঝি গুলজার আহমদসহ নয়জনের বিরুদ্ধে বিচারিক হাকিম আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। গত বছরের ১৯ জুন অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক আদালতে সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। চলতি বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি অতিরিক্ত বিশেষ জজ আদালতে মামলার অভিযোগ গঠন করা হয়। ২৫ মে মামলাটি সিলেটের বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয়। মামলার আট আসামি উচ্চ আদালত থেকে জামিনে ও একজন পলাতক রয়েছেন।বরগুনা-১ (সদর-আমতলী-তালতলী) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী দেলোয়ার হোসেন তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাংসদ ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন ও নির্বাচন কমিশনে দেওয়া হলমনামায় সম্পদের তথ্য গোপন করার অভিযোগ এনেছেন।গত শনিবার রাতে বরগুনা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সমেঞ্চলনে দেলোয়ার এসব অভিযোগ করেন। এ সময় বরগুনা আইনজীবী সমিতির সভাপতি আবদুল মোতালেব মিয়া, বরগুনা বাস মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা, আইনজীবী দারুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।দেলোয়ার হোসেন বলেন, ভোটকেন্দ্রে পোলিং-প্রিসাইডিং কর্মকর্তার দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকদের নিয়ে সাংসদ ধীরেন্দ্র দেবনাথ শুক্রবার সকালে ও শনিবার রাতে দুই দফা বৈঠক করেন। এসব বৈঠকে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের আওয়ামী লীগের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়।দেলোয়ার অভিযোগ করেন, ধীরেন্দ্র দেবনাথ ক্ষমতার দাপটে একের পর এক নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে চলেছেন। শনিবার রাতে নির্বাচনী প্রচারণা শেষ হলেও তাঁর স্ত্রী মাইক ব্যবহার করে আমতলীতে জনসভা করেছেন। এ ব্যাপারে আমতলী উপজেলার সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমার কর্মীদের নানাভাবে ভয়ভীতি ও চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে। এমনকি পুলিশ দিয়ে গ্রেপ্তার করে হয়রানি করার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। সম্প্রতি সদরের গৌরীচন্না বাজারের একটি নির্বাচনী জনসভায় সাংসদ শম্ভু আমার সমর্থক নেতা-কর্মীদের তালিকা করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। সদরের বুড়িরচর ইউনিয়নে আমার কর্মীরা পোস্টার লাগাতে গেলে শম্ভুর ভায়রা ওই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান তাঁদের মারধর করেন। এভাবে গোটা নির্বাচনী এলাকায় প্রশাসন ও ক্যাডার বাহিনী দিয়ে একটি আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি করছেন।’হলফনামার প্রসঙ্গ টেনে দেলোয়ার হোসেন বলেন, সাংসদ শম্ভু এবার নির্বাচন কমিশনে যে সম্পদ বিবরণী দিয়েছেন, তা আংশিক। কেননা বরগুনায় তাঁর নিজের তিনটি বাড়ি, গুলশানে তাঁর স্ত্রীর নামে বিলাসবহুল বাড়ি, তিনটি দামি গাড়ি থাকার পরও তাঁর সম্পদ কীভাবে এক কোটি ৩২ লাখ টাকা হয়, সেটা বোধগম্য নয়। বাস্তবতা হলো, এই পাঁচ বছরে তাঁর (শম্ভুর) আয় ও সম্পদ বেড়েছে ২০০ গুণের বেশি। এ ছাড়া হলফনামায় তিনি আইন পেশা থেকে আয় দেখিয়েছেন। অথচ তিনি গত পাঁচ বছরে কোনো দিন আদালতে যাননি।অভিযোগ প্রসঙ্গে সাংসদ ধীরেন্দ্র দেবনাথ বলেন, ‘সংবাদ সমেঞ্চলনের বিষয়ে আমি শুনেছি। তবে আমি আচরণবিধি লঙ্ঘন করিনি। তিনি যদি এটা মনে করেন, তবে এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ করতে পারেন কিংবা আমার বিরুদ্ধে মামলা করতে পারেন।’ |
অপহরণের প্রায় দেড় মাসেও উদ্ধার হয়নি আট বছরের শিশু বিশাল। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে এ পর্যন্ত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁরা অপহরণের সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিলেও বিশালের অবস্থান নিশ্চিত করেননি বলে পুলিশ জানিয়েছে।অপহূত বিশাল নীলফামারী জেলা সদরের ইটাখোলা ইউনিয়নের সিংদই কামারপাড়া গ্রামের ফারুক হোসেনের ছেলে। ফারুক হোসেন জানান, গত ১৬ আগস্ট দুপুরে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পাশের দোকানে টিভি দেখতে যায় বিশাল। এরপর আর তাকে পাওয়া যায়নি। ঘটনার পরদিন ১৭ আগস্ট ফারুক হোসেনের মুঠোফোনে বিশালকে অপহরণের দায় স্বীকার করে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা। সেই সূত্র ধরে নীলফামারী থানায় মামলা করা হয়েছে।বিশালের বাবা আরও জানান, পুলিশ ২৯ আগস্ট অপহরণের সঙ্গে জড়িত নীলফামারী সদরের ইটাখোলা ইউনিয়নের সিংদই কামারপাড়া গ্রামের নূরজ্জামান (২৭), তাঁর স্ত্রী আছিয়া আক্তার (২২) ও শ্যালক দিনাজপুরের বিরামপুর (নবাবগঞ্জ) উপজেলার দক্ষিণ সাহরাজপুর গ্রামের আব্দুস ছাত্তারের ছেলে ফজলুর রহমানকে (২৪) গ্রেপ্তার করে। বিরামপুরের দক্ষিণ সাহারাজপুর গ্রাম থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাঁদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী পুলিশ নারায়ণগঞ্জ থেকে আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করে।নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু আক্কাস আহমেঞ্চদ বলেন, অপহরণের ঘটনায় ২৪ আগস্ট বিশালের দাদা মোখলেছ উদ্দীন বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন। গ্রেপ্তার হওয়া পাঁচজনের মধ্যে তিনজন আদালতে অপহরণে জড়িত থাকার বিষয়ে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। তাঁদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী শিশুটিকে উদ্ধারে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হচ্ছে। কিন্তু গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের দেওয়া বিভ্রান্তিকর তথ্যের কারণে শিশুটিকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। তবে অভিযান চলছে।ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে দুই দেশ পিঠাপিঠি। দক্ষিণ আফ্রিকা পাঁচ, পাকিস্তান ছয়। রেটিং পয়েন্টও কাছাকাছি। দক্ষিণ আফ্রিকার ১০৫, পাকিস্তানের ১০১। কিন্তু র্যাঙ্কিংয়ের এই ‘প্রায় সমতা’ মুছে দিয়ে দুই দলের মধ্যে আকাশ-পাতাল পার্থক্য তুলে ধরছে একটা তথ্য। দ্বিপক্ষীয় ওয়ানডে সিরিজে কখনোই দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারাতে পারেনি পাকিস্তান।শুধু দ্বিপক্ষীয় সিরিজ? দক্ষিণ আফ্রিকা অংশ নিয়েছে এমন টুর্নামেন্ট বা দুইয়ের বেশি দেশের সিরিজ মিলিয়েই পাকিস্তান শিরোপা জিতেছে মাত্র দুবার—১৯৯২ বিশ্বকাপ এবং ২০০০ সালে একটা ত্রিদেশীয় ওয়ানডে সিরিজ। মিসবাহর দল পারবে অতীত মুছে নতুন ইতিহাস লিখতে?পাঁচ ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটি আজ শারজায়। তার আগে পাকিস্তান অধিনায়ক তাই ভুল করেও অতীতের দিকে তাকাচ্ছেন না। তবে মিসবাহকে ঠিকই আত্মবিশ্বাসী করে তুলছে একটা বিষয়—আরব আমিরাতের কন্ডিশন। সঙ্গে নিজেদের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সের ছবিটাও তুলে ধরলেন মিসবাহ, ‘গত তিন-চার বছর ধরে আমরা সত্যিই ওয়ানডেতে ভালো খেলছি। আর এই কন্ডিশন সব সময়ই পাকিস্তানের অনুকূল। কাজেই আমরা ভালো একটা সিরিজ খেলার দিকেই তাকিয়ে আছি।’মিসবাহ ভুল বলেননি। পাকিস্তানিদের জন্য দেশের চেয়েও আরব আমিরাতের মাটি বেশি পয়মন্ত। পরিসংখ্যান সেটিই বলছে। ঘরের মাঠে ১৭৬টি ওয়ানডে খেলে পাকিস্তান জিতেছে ১০৮টি। সেখানে আমিরাতে ১৪২টি ওয়ানডে খেলে তাদের জয় ৯১ ম্যাচে (হার ৫০)! শারজা স্টেডিয়ামে ১১২ ম্যাচের ৭৬টিই জিতেছে পাকিস্তান, হেরেছে ৩৫টি ম্যাচ।মিসবাহকে মনে রাখতে হচ্ছে এই তথ্যটাও, ২০১০ সালে এই আমিরাতেই পাঁচ ম্যাচ সিরিজ ৩-২-এ জিতে নিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। এ বছরও দক্ষিণ আফ্রিকায় গিয়ে মিসবাহর দল ওই ৩-২তেই সিরিজ হেরে এসেছে। দক্ষিণ আফ্রিকাকে আত্মবিশ্বাস জোগাচ্ছে দুবাই টেস্টের জয়ও।আবুধাবির প্রথম টেস্টের জয়ের পর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দ্বিতীয়বারের মতো টেস্ট সিরিজ জেতার সম্ভাবনার দুয়ার খুলে ফেলেছিল পাকিস্তান। কিন্তু দুবাই টেস্টে ইনিংস ব্যবধানে জিতে দক্ষিণ আফ্রিকার সিরিজ তো বাঁচিয়েছেই, ওয়ানডে সিরিজের আগে আত্মবিশ্বাসও বাড়িয়ে নিয়েছে ভালোভাবে। এটিকে পুঁজি করতে চাইছেন দক্ষিণ আফ্রিকার কোচ রাসেল ডমিঙ্গো, ‘আমি মনে করি, দ্বিতীয় টেস্টের জয় আমাদের আত্মবিশ্বাসী হতে সাহায্য করবে। যদিও এটা (ওয়ানডে) পুরোপুরি ভিন্ন ফরম্যাটের ক্রিকেট। তবে আমরা একটু হলেও আত্মবিশ্বাসী থাকব।’পাকিস্তানের জন্য স্বস্তির খবর, দক্ষিণ আফ্রিকাকে মাঠে নামতে হচ্ছে হাশিম আমলা ও ডেল স্টেইনকে ছাড়া। অনাগত সন্তানের জন্য আমলা চলে গেছেন দেশে। চোটের জন্য স্টেইনকে প্রথম দুই ম্যাচে দেওয়া হয়েছে বিশ্রাম। পাকিস্তান দলে অনেক পরিবর্তন। শহীদ আফ্রিদি, মোহাম্মদ হাফিজের সঙ্গে ওয়ানডে দলে ফিরেছেন নাসির জামশেদ, উমর আকমল, ওয়াহাব রিয়াজ। সাঈদ আজমলের সঙ্গে আবদুর রেহমান, আফ্রিদি, হাফিজ—প্রোটিয়াদের স্পিনে পুড়ে মারার রসদও তৈরি মিসবাহর হাতে। তবে পাকিস্তান অধিনায়কের সতর্ক উচ্চারণ, ‘দক্ষিণ আফ্রিকা স্পিন খুব ভালো খেলে। কাজেই ভালো করতে হলে আমাদের পুরো বোলিং আক্রমণই জ্বলে উঠতে হবে।’ তথ্যসূত্র: ক্রিকইনফো, এএফপি।মাঠে মাঠে এখন পাকা ধানের সোনালি হাসি। আমন ফসল ভালো হওয়ায় কৃষকেরাও ভীষণ খুশি। ঘরে ঘরে নতুন ধান তোলার তোড়জোড় চলছে। ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজে ব্যস্ত কৃষকেরা, যেন দম ফেলার ফুরসত নেই।গত মঙ্গলবার দুপুরের দিকে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার একাটুনা ইউনিয়নের উত্তরমুলাইম এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, মাঠে মাঠে কৃষকেরা পাকা ধান কাটায় মগ্ন। কেউ কেউ কাটা ধান আঁটি বাঁধছেন। কেউ মাথায় করে ধানের আঁটি বাড়ি নিচ্ছেন। এ সময় কৃষক তনজু মিয়া (৫৫) বলেন, ‘এবার ধান ভালো অইছে। যেদিকে তাকাউকা দেখবা ধান আর ধান। অখন সবাই কেমনে ধান ঘরে তুলতো, তা লইয়া ব্যস্ত।’আবদুল করিম বলেন, ‘ফসল ভালা অইছে। এবার ধানে চুচা (চিটা) কম। ধান ভালা অইলে আমরার আর কুনতা (কিছু) লাগে না। আমরার অইলো কাজ করতাম। ভাত খাইতাম।’কৃষক ও খেতমজুরদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, এ বছর এক বিঘা জমির ধান কাটা, মাড়াই ও ঝাড়াই বাবদ কৃষিশ্রমিকদের এক হাজার ৪০০ টাকা থেকে এক হাজার ৫০০ টাকা দিতে হচ্ছে। খেতমজুর ওমর আলী (৩০) বলেন, ‘এবার আড়াই শ টাকা রোজে কাজ করছি।’সদর উপজেলার গিয়াসনগর ইউনিয়নের রনভীম গ্রামের কৃষক ইয়ারোপ মিয়া জানান, এক বিঘা জমিতে হালচাষ, বীজ, সার প্রয়োগ এবং ধান কেটে ঘরে তোলা পর্যন্ত প্রায় পাঁচ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। ধান পাওয়া যাবে সাত হাজার থেকে সাড়ে সাত হাজার টাকার।কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মৌলভীবাজার কার্যালয়ের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা আবুল কালাম চৌধুরী জানান, এবার এমওপি (মিউরেট অব পটাশ) সারের দাম কম থাকায় কৃষকেরা চাহিদামতো তা ব্যবহার করতে পেরেছেন। এ ছাড়া পর্যায়ক্রমে বৃষ্টি হওয়ায় আমনের ফলন ভালো হয়েছে।কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয় সূত্র জানায়, এ বছর মৌলভীবাজার জেলায় রোপা আমনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৯৫ হাজার ৯৩০ হেক্টর। চাষাবাদ হয়েছে ৯৯ হাজার ৪৫ হেক্টর। অপরদিকে বোনা আমনের (স্থানীয়ভাবে কাতারি নামে পরিচিত) লক্ষ্যমাত্রা ছিল দুই হাজার ৯০৮ হেক্টর। চাষাবাদ হয়েছে দুই হাজার ৯৬৫ হেক্টরে।জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষায় পাসের হারে দেশসেরা হয়েছে বরিশাল শিক্ষা বোর্ড। পাসের হার ৯৬ দশমিক ৬০। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১০ হাজার ৭৬৩ জন।গতকাল রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক শাহ আলমগীর ওই ফলাফল ঘোষণা করেন। প্রকাশিত ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, এ বছর পাসের হার বেড়েছে ২ দশমিক ৭৮ ভাগ। জিপিএ-৫ বেড়েছে সাত হাজার ৫৯১টি। গত বছরের চেয়ে শিক্ষার্থীরা জিপিএ-৫ তিন গুণ বেশি পেয়েছে। গত বছর পাসের হার ছিল ৯৩ দশমিক ৮২ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছিল তিন হাজার ১৭২ জন। এ বছর পাসের হার ৯৬ দশমিক ৬০। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১০ হাজার ৭৬৩ জন। |
শ্রীলঙ্কায় গিয়েছিলেন বলে একটা ম্যাচ খেলতে পারেননি। দেশ থেকে ফিরেই কাল আবার মাঠে তিলকরত্নে দিলশান। কিন্তু ফেরাতে পারলেন না মোহামেডানের জয়ভাগ্য। প্রথম তিন ম্যাচ জয়ী মোহামেডান পেল টানা দ্বিতীয় হারের স্বাদ। বিকেএসপিতে কাল প্রাইম ব্যাংকের কাছে হেরেছে তারা ২ উইকেটে। একসময় শীর্ষে থাকা দলটি এখন পয়েন্ট টেবিলের সাতে। দিনের আরেক ম্যাচে সিসিএসকে ৩ উইকেটে হারিয়েছে ভিক্টোরিয়া। সাত পয়েন্ট নিয়ে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা এখন পয়েন্ট তালিকার দুইয়ে।আগের ম্যাচের ৬৭-লজ্জার পর কালও ব্যর্থ মোহামেডানের ব্যাটসম্যানরা। প্রথম ছয় ব্যাটসম্যান দুই অঙ্ক ছুঁলেও ৩০ ছুঁতে পারেননি কেউ! জিয়াউর-এনামুল জুনিয়রদের বোলিংয়ে ১২৮ রানেই নেই ৮ উইকেট। নয়ে নামা মুক্তারের ৩০ রানের ইনিংসে শেষ পর্যন্ত ১৭৩ রানের পুঁজি পায় মাশরাফির দল। এই মুক্তার পরে বল হাতে নিয়েছেন ২ উইকেট। নতুন বল হাতে নিয়ে সাকলাইন সজীব নিয়েছেন ৩ উইকেট, অজন্তা মেন্ডিস দুটি। কিন্তু মোহামেডানের জয়ের জন্য এসব যথেষ্ট ছিল না। ৭৬ রানে ৫ উইকেট হারিয়েছিল প্রাইম ব্যাংক, এর মধ্যে ছিল তিন বিদেশির উইকেটও। তবে ষষ্ঠ উইকেটে দুই তরুণ তাইবুর রহমান ও রেজাউল করিমের ৭১ রানের জুটিতে জয়ের কাছাকাছি চলে যায় প্রাইম ব্যাংক। বাকি পথটুকু পাড়ি দেন লোয়ার অর্ডাররা। পাঁচ ম্যাচে তিন জয়ে প্রাইম ব্যাংক এখন পাঁচে।ফতুল্লায় সিসিএস ৬ রানে হারায় দুই ওপেনারকে। তৃতীয় ও চতুর্থ উইকেটে পঞ্চাশের জুটি হলেও কোনোটিই গড়ায়নি শতরান পর্যন্ত (৬৫ ও ৫৩)। বড় জুটি হয়নি এর পরও, ইনিংসের একমাত্র ফিফটি সালমানের ৫২। সিসিএস তাই আটকে যায় ২১৭ রানে। নতুন বল হাতে আসিফ আহমেদের অফস্পিন আর কামরুল ইসলামের পেস বোলিংয়ে লড়াইটা খারাপ করেননি সিসিএসের বোলাররা। কিন্তু নাসির হোসেনের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের কোনো জবাব ছিল না সিসিএসের। মাঝারি রান তাড়ায় ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দিয়েছে ভিক্টোরিয়া অধিনায়কের ৭৮ বলে ৭৭ রানের ইনিংসটাই। ষষ্ঠ উইকেটে জুবায়ের আহমেদের সঙ্গে গড়েছেন ৭৫ রানের ম্যাচজয়ী জুটি। ৪০ রানে অপরাজিত জুবায়ের ফিরেছেন দলের জয় সঙ্গে নিয়ে।দুবার সময় বাড়িয়ে ৩১ অক্টোবর ফুটবলারদের দলবদলের শেষ দিন নির্ধারণ করা হয়েছিল। কিন্তু কাল পর্যন্ত কোনো ক্লাব বাফুফে ভবনে এসে খেলোয়াড় নিবন্ধন করেনি!উল্টো প্রিমিয়ার লিগের সাতটি ক্লাব দলবদলের সময় বাড়ানোর দাবিতে ফেডারেশনের কাছে কাল চিঠি দিয়েছে। দেশের চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতাকে কারণ হিসেবে দাঁড় করিয়েছে ওই ক্লাবগুলো—আবাহনী, মোহামেডান, শেখ রাসেল, মুক্তিযোদ্ধা, শেখ জামাল, ব্রাদার্স ও ফেনী সকার। দুই মাসেরও বেশি সময় পেয়েও ক্লাবগুলো দলবদলের আনুষ্ঠানিকতা সারার সময় পেল না! আজ লিগ কমিটির সভা ডাকা হয়েছে। যতদূর খবর, দলবদলের সময় আরও বাড়তে পারে। সে ক্ষেত্রে আগামী ৪ নভেম্বর ফেডারেশন কাপ দিয়ে ঘরোয়া ফুটবল মৌসুম শুরুর সর্বশেষ পরিকল্পনাও হোঁচট খাবে। খেলা মাঠে গড়াতে দেরি হবে আরও!যথাযথ চিকিৎসা ও অ্যাম্বুলেন্সের চালককে না পেয়ে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে ভাঙচুর করা হয়েছে। এ সময় গ্যারেজ থেকে অ্যাম্বুলেন্স বের করে আগুন দেয় রোগীর সঙ্গে আসা লোকজন। বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় এ ঘটনা ঘটে।খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও হাজীগঞ্জ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে অজ্ঞাতনামা শতাধিক ব্যক্তিকে আসামি করে একটি মামলা করেছেন। তবে পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকে এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার করতে পারেননি।হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকেল সাড়ে পাঁচটায় টোরাগড় তালুকদার বাড়ির আবদুর রব তালুকদারের ছেলে শাহাদাৎ হোসেন (২০) চোখে চুন পড়া সমস্যা নিয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসেন। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লায় যাওয়ার পরামর্শ দেন।স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত উপসহকারী চিকিৎসা কর্মকর্তা কামরুন নাহার ও শামীম নাছরিন জানান, রোগীর লোকজন কুমিল্লায় যাওয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্সটি চান। কর্তৃপক্ষ দিতে রাজি হলেও চালক সেখানে উপস্থিত ছিলেন না। চালক আসতে দেরি হওয়ায় রোগীর পক্ষের অর্ধশতাধিক লোক অ্যাম্বুলেন্সটি গ্যারেজ থেকে বের করে এনে ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেন। পরে তাঁরা জরুরি বিভাগ ও কর্তব্যরত চিকিৎসকের কক্ষের আসবাব, দরজা-জানালা ভাঙচুর করে তছনছ করেন।উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জানান, অবরোধের কারণে অ্যাম্বুলেন্স চালক হাসপাতালে ছিলেন না। ফোন করার পর তিনি আসছিলেন। দেরি হওয়ায় রোগীর লোকজন গ্যারেজ থেকে অ্যাম্বুলেন্সটি এনে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন।জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষায় পাসের হারে দেশসেরা হয়েছে বরিশাল শিক্ষা বোর্ড। পাসের হার ৯৬ দশমিক ৬০। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১০ হাজার ৭৬৩ জন।গতকাল রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক শাহ আলমগীর ওই ফলাফল ঘোষণা করেন। প্রকাশিত ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, এ বছর পাসের হার বেড়েছে ২ দশমিক ৭৮ ভাগ। জিপিএ-৫ বেড়েছে সাত হাজার ৫৯১টি। গত বছরের চেয়ে শিক্ষার্থীরা জিপিএ-৫ তিন গুণ বেশি পেয়েছে। গত বছর পাসের হার ছিল ৯৩ দশমিক ৮২ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছিল তিন হাজার ১৭২ জন। এ বছর পাসের হার ৯৬ দশমিক ৬০। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১০ হাজার ৭৬৩ জন। |
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ সিরিয়াকে রাসায়নিক অস্ত্রমুক্ত করার ঐতিহাসিক প্রস্তাবটি গত শুক্রবার রাতে সর্বসম্মতভাবে গ্রহণ করেছে। এর আগে গত বৃহস্পতিবার প্রস্তাবটির বিষয়ে মতৈক্যে পৌঁছায় যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া।সিরিয়ায় রাসায়নিক অস্ত্র প্রয়োগের কারণে মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক অভিযান এড়ানোর লক্ষ্যে জাতিসংঘে এ প্রস্তাব অনুমোদনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল।সিরীয় সংঘাতের ইতি টানতে জাতিসংঘ প্রথম থেকেই প্রচেষ্টা চালিয়ে এলেও বৃহৎ শক্তিগুলোর মতানৈক্যের কারণে এত দিন বড় কোনো অগ্রগতি হয়নি। এই প্রথম তারা এ বিষয়ে একটি উল্লেখযোগ্য সফলতা পেল। পরিষদের পাঁচটি স্থায়ী সদস্যদেশ এবং ১০টি অস্থায়ী সদস্যদেশের সবাই প্রস্তাবটির পক্ষে সমর্থন দেয়। জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন সিরিয়ার রাসায়নিক অস্ত্র ধ্বংস করার এই সিদ্ধান্তকে ‘ঐতিহাসিক’ আখ্যা দিয়েছেন। বিশ্বশক্তিগুলোর প্রতিক্রিয়া: মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি বলেছেন, জাতিসংঘ দেখিয়ে দিয়েছে, ‘কূটনীতি এতটাই শক্তিশালী হতে পারে যে যুদ্ধের সবচেয়ে ভয়ানক অস্ত্রগুলোর ব্যাপারেও শান্তিপূর্ণ উপায়ে একটা বিহিত করা যেতে পারে’। রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভও এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, মস্কো সিরিয়ায় ‘সব ধরনের কাজে’ অংশ নিতে প্রস্তুত। ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইলিয়াম হেগ এক প্রতিক্রিয়ায় প্রস্তাবটিকে ‘যুগান্তকারী’ আখ্যায়িত করেছেন।নিরাপত্তা পরিষদের এ উদ্যোগের বিষয়ে এক প্রতিক্রিয়ায় জাতিসংঘে সিরিয়ার রাষ্ট্রদূত বাশার জাফরি বলেছেন, পাস হওয়া প্রস্তাবটিতে দামেস্কের উদ্বেগের অধিকাংশেরই জবাব আছে। তিনি সিরীয় বিদ্রোহীদের সমর্থন দেওয়া দেশগুলোর প্রস্তাবটি মেনে চলার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। প্রস্তাবটিতে যা আছে: নিরাপত্তা পরিষদে পাস হওয়া প্রস্তাবটিতে সিরিয়ায় রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের নিন্দা জানানো হয়েছে। তবে রাসায়নিক হামলার জন্য কাউকে দোষারোপ করা হয়নি। প্রস্তাবটিতে আইনগতভাবে বাধ্যবাধকতাসম্পন্ন দুটি দাবি রাখা হয়েছে: সিরিয়ার তার রাসায়নিক অস্ত্রভান্ডার পরিত্যাগ করবে এবং রাসায়নিক অস্ত্রবিশেষজ্ঞদের অবাধ প্রবেশাধিকার দেবে। সিরিয়া তার এ-সংক্রান্ত প্রতিশ্রুতি মেনে চলতে ব্যর্থ হলে জাতিসংঘ সনদের ৭ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ওই অনুচ্ছেদের আওতায় সামরিক শক্তি প্রয়োগের অনুমতি রয়েছে। তবে সামরিক পদক্ষেপ গ্রহণের আগে নিরাপত্তা পরিষদে আরেকটি প্রস্তাব পাস করতে হবে। নিরাপত্তা পরিষদে এর আগেও কয়েকবার সিরিয়ার বিষয়ে প্রস্তাব পাসের চেষ্টা হয়েছিল। তবে তখন সংকট মোকাবিলার পন্থা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে মতভিন্নতা ছিল। অস্ত্র ধ্বংসে সম্মত ওপিসিডব্লিউ: এদিকে সিরিয়ার রাসায়নিক অস্ত্রের মজুত ২০১৪ সালের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে ধ্বংস করার পরিকল্পনার বিষয়ে সম্মত হয়েছে রাসায়নিক অস্ত্র রোধ নিয়ে কাজ করা আন্তর্জাতিক সংস্থা অর্গানাইজেশন ফর দ্য প্রহিবিশিন অব দ্য কেমিক্যাল ওয়েপনস (ওপিসিডব্লিউ)। নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবটি পাস হওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে এ বিষয়ে একটি পরিকল্পনা গ্রহণ করে সংস্থাটি। শান্তি সম্মেলন নভেম্বরে: সিরীয় সংকট রাজনৈতিকভাবে সমাধানে নভেম্বরের মাঝামাঝিতে জেনেভায় নতুন শান্তি সম্মেলনের আয়োজন করা হবে। জাতিসংঘের মহাসচিব শুক্রবার এ ঘোষণা দিয়েছেন। বিবিসি ও এএফপি।রিয়াল মাদ্রিদ অভিযোগ তুলেছিল ম্যাচের পরপরই। গত শনিবার এল ক্লাসিকোতে রেফারি পেনাল্টি বঞ্চিত করেছেন ওদের। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর এমন অভিযোগ স্রেফ হারের অজুহাত হিসেবেই দেখেছেন বার্সেলোনার অনেক ফুটবলার। তবে বার্সেলোনা কোচ তাঁর ছাত্রদের মতো নন। পেনাল্টি না দেওয়ার সিদ্ধান্তটা রেফারির ভুল ছিল বলে স্বীকার করেছেন জেরার্ডো মার্টিনো। যদিও এ জন্য রেফারিকে অভিযুক্ত করতে রাজি নন বার্সার কোচ।মৌসুমের প্রথম এল ক্লাসিকো বার্সেলোনা জিতেছে ২-১ গোলে। তবে শনিবারের ওই ম্যাচে আদ্রিয়ানোর একটি হ্যান্ডবল ও রোনালদোকে করা একটি ফাউলের কারণে দুবার পেনাল্টি দাবি করেছিল রিয়াল। যদিও এর কোনোটিতেই সাড়া দেননি স্প্যানিশ রেফারি আলবার্তো উদিয়ানো। ওই ম্যাচের পর থেকেই রেফারির সেই সিদ্ধান্ত নিয়ে চলছে চাপান উতোর।সেদিন হয়তো রিয়াল ন্যায্য পেনাল্টি থেকে বঞ্চিত হয়েছে—গতকাল লা লিগায় সেল্টা ভিগোর সঙ্গে ম্যাচের আগে এমনটা স্বীকার করেছেন বার্সার কোচ মার্টিনো, ‘হয়তো রেফারি ভুল করেছেন। তবে রিয়ালের খেলোয়াড়েরা যেটা বলছেন আমি সেটির জবাব দিতে গেলে পরিস্থিতির সুবিধা নেওয়া হয়ে যাবে। ওরা যদি মনে করে রেফারি ভুল করেছেন, তাহলে সমস্যা নেই।’ তবে ম্যাচ পরিচালনায় এমন ভুল হতেই পারে, বলছেন মার্টিনো। তবে মেসিদের কোচ রেফারিকে অভিযুক্ত করতে রাজি নন, ‘হয়তো রেফারি ভুল করেছেন। ব্যস, এটুকুই। কিন্তু এর জন্য তাঁকে অভিযুক্ত করা আমার জন্য কিছুটা কঠিন।গতকাল সেল্টা ভিগোর বিপক্ষে ম্যাচের আগ পর্যন্ত ১০ ম্যাচে ২৮ পয়েন্ট নিয়ে লা লিগার শীর্ষে থাকা বার্সেলোনা এবারও শিরোপার দাবিদার। মার্টিনো সেটি আরেকবার মনে করিয়ে দিলেন, ‘মৌসুমের প্রথম দিনও বার্সেলোনা ফেবারিট ছিল, ১০ ম্যাচ পরও ফেবারিট। বার্সেলোনার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যেকোনো প্রতিযোগিতায় এই ক্লাবকে ফেবারিট বানিয়ে দেয়।’ ওয়েবসাইট।শ্যামনগর উপজেলার হরিনগর এলাকার মহিলা মার্কেটে আগুন লেগে আটটি দোকান পুড়ে প্রায় ১০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। বুধবার রাত আটটার দিকে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে এ আগুন লাগে। হরিনগর এলাকার শওকাত হোসেন জানান, হঠাৎ আগুন লেগে মরিয়ম খাতুন, নূরুন নাহার, সালমা খাতুন, শিবানী মল্লিকের কসমেটিকসের দোকান, মঞ্জুরা খাতুনের চেয়ার-টেবিল, দিপালিকা মণ্ডলের টেইলার্স, হামিদা খাতুনের মুদি ও সালমা নাহারের ইলেকট্রনিকসের দোকান পুড়ে যায়। নিজস্ব প্রতিবেদক, সাতক্ষীরা।জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষায় পাসের হারে দেশসেরা হয়েছে বরিশাল শিক্ষা বোর্ড। পাসের হার ৯৬ দশমিক ৬০। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১০ হাজার ৭৬৩ জন।গতকাল রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক শাহ আলমগীর ওই ফলাফল ঘোষণা করেন। প্রকাশিত ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, এ বছর পাসের হার বেড়েছে ২ দশমিক ৭৮ ভাগ। জিপিএ-৫ বেড়েছে সাত হাজার ৫৯১টি। গত বছরের চেয়ে শিক্ষার্থীরা জিপিএ-৫ তিন গুণ বেশি পেয়েছে। গত বছর পাসের হার ছিল ৯৩ দশমিক ৮২ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছিল তিন হাজার ১৭২ জন। এ বছর পাসের হার ৯৬ দশমিক ৬০। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১০ হাজার ৭৬৩ জন। |
নীলফামারীতে গতকাল শনিবার সড়ক দুর্ঘটনায় শিউলী রানী সরকার (২৫) নামের এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। নীলফামারী-সৈয়দপুর সড়কের কাজীরহাট নামক স্থানে ওই দুর্ঘটনা ঘটে। শিউলি রানী গ্রামীণ ব্যাংক সদর উপজেলার চাপড়া শাখার মাঠকর্মী দেবাশীষ কুমার সরকারের স্ত্রী।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দেবাশীষ কুমার মোটরসাইকেলে করে স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে যাওয়ার সময় সড়কের ওই স্থানে একটি বাইসাইকেলকে সাইড দিতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। এ সময় ঝাঁকুনিতে মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়েন শিউলি রানী ও মেয়ে শ্রেয়া রানী সরকার (৪)। গুরুতর আহত শিউলিকে নীলফামারী আধুনিক সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। মেয়ে শ্রেয়াকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।গ্রামীণ ব্যাংক নীলফামারীর আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক আবুল খায়ের মো. মনিরুল হক জানান, মাঠকর্মী দেবাশীষ স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে শ্বশুরবাড়ি থেকে কর্মস্থল চাপড়ার দিকে আসছিলেন। নীলফামারী সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জহুরুল ইসলাম দুর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।খালেদা: আমি হরতাল দিয়ে ফেলেছি। আগে বলা উচিত ছিল।হাসিনা: আপনি আপনার বক্তব্যটা আবার শোনেন।খালেদা: হ্যাঁ, এখন আমি নিজে শুনলেও কর্মসূচি দিয়ে ফেলেছি। সঙ্গে সঙ্গেই বলেছি, কর্মসূচিও চলবে, আলোচনাও চলবে।হাসিনা: আপনি যেহেতু বললেন দুই দিনের মধ্যে...খালেদা: আমি বলেছি। কর্মসূচি-সংলাপ একসঙ্গে চলবে।হাসিনা: এর আগেই আমি ফোন করলাম।খালেদা: না, হরতাল চলবে। কর্মসূচি ঠিক হয়ে গেছে। ১৮ দলের সবার সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত হয়েছে। ১৮ দল পাব কোথায় এখন? এখন কেউ নেই।হাসিনা: ১৮ দল আপনি পাবেন, ডাকলেই পাবেন। আপনি ডাকলে হবে না, এটা কোনো কথা হলো নাকি। এটা কেউ বিশ্বাস করবে না।খালেদা: বিশ্বাস করবে না ঠিক আছে। আগে ডাকলে হতো। কিন্তু এখন হবে না, এই কারণে...হাসিনা: আপনি বললেন, দুই দিনের মধ্যে আলোচনা না করলে আপনি হরতাল দেবেন। এ সময়ের মধ্যেই আপনাকে ফোন করলাম।খালেদা: না, আপনি যদি কাল রাতেও ফোন করতেন, তাহলে কর্মসূচি বিবেচনা করা যেত। পুরো রাত চলে গেছে। সকালে অফিসে চলে গেছি।হাসিনা: রাতে ফোন না দিলে তো আপনার হয় না। আমি রাত জাগি না।খালেদা: আপনি কি সন্ধ্যার সময় ঘুমিয়ে পড়েন?হাসিনা: আমি নামাজ পড়ি...খালেদা: আমি জানি। আপনি খুব নামাজ পড়েন, কোরআন পড়েন... সব পড়েন। সবই জানি।...হাসিনা: আপনি যে সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলেন আমি ঠিক সেই সময়ের মধ্যেই আপনাকে ফোন করেছি আলোচনার জন্য।খালেদা: এখন আমার দলের কোনো নেতাকে পাব না, কেন্দ্রীয় কমিটির নেতাদের পাব না, ১৮ দলের নেতাদের পাব না, কার সাথে কথা বলে আমি এটা প্রত্যাহার করব, আপনি বলেন?হাসিনা: আপনি কাউকে পাবেন না—এটা একটা কথা হলো? আপনি হুকুম দিলেই তো সব হবে।খালেদা: আরে আপনার ডিবি, এসবি তো আমার বাড়ি ঘেরাও করে রেখেছে। আমার নেতারা কী করে আসবে বলেন?হাসিনা: আপনারা ছুরি-কাঁচি-দা-কুড়াল নিয়ে মানুষকে আক্রমণ করার কথা বলছেন।খালেদা: ছুরি-কাঁচি-দা-কুড়াল নিয়ে তো আপনারা করেন। বিশ্বজিৎকে আপনার লোকজন দা দিয়ে হত্যা করল না?হাসিনা: আমার লোকজন না। যারা করেছে তারা অনেক আগে থেকেই বহিষ্কৃত। আমরা তাদের সবাইকে গ্রেপ্তার করেছি।খালেদা: আমি আপনাকে আবার রিকোয়েস্ট করছি, ২৯ তারিখের পর আপনি সময় দেন, আমি আলোচনায় রাজি আছি। এখন এই কর্মসূচি থেকে বেরোনোর কোনো পথ নেই। আপনি ৩০ তারিখে ডাকেন, আমি যাব।হাসিনা: আপনি জনগণের সামনে, জাতির সামনে যে বক্তব্যটা দিয়েছেন, সেটা অনুসরণ করেন। হরতাল প্রত্যাহার করেন।খালেদা: সেটা করার পথ আর খোলা নেই এখন। টাইম ওভার হয়ে গেছে। আপনি যদি কাল রাতেও ফোন করতেন, আমি রাতেই মিটিং ডাকতাম।হাসিনা: আপনি দুই দিন সময় দিয়েছিলেন। আমি দুই দিনের মধ্যেই আপনাকে ফোন করেছি।খালেদা: আপনি কি মনে করছেন এই হরতালেই আমাদের কর্মসূচি শেষ হয়ে যাবে!হাসিনা: না, না। আপনি তো আরও হরতাল দেবেন। আপনি ৩৩০ দিন হরতাল দিয়েছিলেন। সেটা তো আমার মনে আছে।খালেদা: ৩৩০ দিন দেইনি কিন্তু। আপনি ১৭৩ দিন হরতাল দিয়েছেন। মনে নেই? আচ্ছা আপনি বলেন, ১৯৯১ সালে আমরা দুজনে আন্দোলন করে গণতন্ত্র আনলাম। তারপরে সেখানে আপনি অপোজিশনে গেলেন, তাতে কি আছে? আমরা একসঙ্গে কাজ করতাম। কিন্তু আপনি তো সংসদে ফ্লোরে দাঁড়িয়ে বললেন এক দিনের জন্য আমাকে শান্তিতে থাকতে দেবেন না।হাসিনা: এটা আমি বলিনি। নো।খালেদা: এগুলো তো রেকর্ড আছে। আর তত্ত্বাবধায়ক? তত্ত্বাবধায়ক তখন কার ছিল? জামায়াতের ছিল। আপনি তখন তত্ত্বাবধায়ক ছাড়া মানবেনই না।হাসিনা: তখন মাগুরার ইলেকশন...।খালেদা: আরে মাগুরার ইলেকশন? ভোলার ইলেকশন আপনি বলেন না কেন?হাসিনা: ভোলার ইলেকশনের পরে যে সিচুয়েশন তৈরি হয় তখন উপায় ছিল কি? ওইভাবে ভোট কারচুপি করলে...খালেদা: এই সিচুয়েশন এখনো হয়েছে। আপনার পক্ষে আপনার ডিসি ভোট চেয়ে বেড়ায়। ডিসি নৌকায় ভোট চেয়ে বেড়ায়।হাসিনা: ডিসি কী কথা বলছে আর পত্রিকা কী কথা বলছে...খালেদা: না এগুলো ঠিক তো। আপনি কালকে ডিসিকে বলবেন ব্যালট বাক্স ভর্তি কর। নো, এগুলো হতে পারে না। আপনি যদি ৩০ তারিখে করতে চান। আমি রাজি আছি। আমার এটা ফাইনাল। এর বাইরে আমি যেতে পারি না।হাসিনা: না না। ডিসিরা ভোট চাইবে কী জন্য।খালেদা: চেয়েছে তো। পত্রিকায় এসেছে তো।হাসিনা: ভোট চাওয়ার লোকের আমার অভাব নাই। আমার দল তো এ দেশে সংগ্রামের মধ্যে দিয়েই জন্ম নিয়েছে।খালেদা: আমার দলও। অনেক সংগ্রাম করে ক্ষমতায় এসেছে। এগুলো কথা বললে কথার পৃষ্ঠে কথা আসবেই।হাসিনা: আমি আবারও আপনাকে অনুরোধ করছি আপনি হরতালটা প্রত্যাহার করেন।খালেদা: আমি হরতাল প্রত্যাহার করতে পারব না। আপনি সময়মতো আমাকে টেলিফোন করেননি। সে জন্য আমি দুঃখিত। কালকে যদি টেলিফোন করতেন পরিবেশ পরিস্থিতি অন্যরকম হতো।হাসিনা: আপনি কালকেই তো আলটিমেটাম দিলেন। কালকে একটার দিকেই তো আপনাকে ফোন করেছি। তা-ও পাইনি। আপনি বলছেন ফোন বাজছে না। কিন্তু আমার যে এডিসি দেড়টা পৌনে দুইটা থেকে চেষ্টা করছে।খালেদা: ফোন না বাজলে তো আমার কিছু করার নেই। আমি তো বলেছিলাম নয়টার সময় নেতাদের ডাকব, কথা বলব, তখনো তো আমাকে ফোন দিলেন না।...হাসিনা: আমার জরুরি মিটিং। কোনো মিটিংয়ে আমি দেরি করতে পছন্দ করি না। অলরেডি দেরি হয়ে গিয়েছিল।খালেদা: আপনি যদি মনে করেন মিটিং বেশি ইমপরটেন্ট না এটা বেশি ইমপরটেন্ট।হাসিনা: না সব মিটিং তো ইমপরটেন্টই। আমার কথা বলার পর আপনি ১২টার দিকে নেতাদের সঙ্গে বসে হরতালটা প্রত্যাহার করে নিতেন।খালেদা: মিটিং থেকে বের হয়েও আপনি কথা বলতে পারতেন। তাহলে আমার তখন সিদ্ধান্ত নিতে সুবিধা হতো।হাসিনা: আপনি দয়া করে এককভাবে সিদ্ধান্ত নেন।খালেদা: এককভাবে আমি কীভাবে সিদ্ধান্ত নেব?হাসিনা: আপনি বলেন যে, আমি আপনাকে অনুরোধ করছি। সে অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে আপনি হরতালটা প্রত্যাহার করছেন। সে কথা জনগণের সামনে বলেন।খালেদা: না, সেটা তো হবে না। তাহলে আপনি বলবেন যে, আপনি নির্দলীয় সরকার মেনে নেবেন। তাহলে আমি হরতাল উইথড্র করব।হাসিনা: তাহলে আর আলোচনার কী থাকল?খালেদা: নো, আলোচনা অনেক থাকে। আলোচনার অনেক প্রক্রিয়া থাকে। আপনি বলেন যে, আমি নির্দলীয় সরকার মেনে নেব। তাহলে আমি হরতাল উইথড্র করব।হাসিনা: আমার ৯০ ভাগ সিট থাকা সত্ত্বেও আমি আপনাকে আহ্বান জানাচ্ছি সর্বদলীয় সরকার করার জন্য।খালেদা: সর্বদলীয় সরকার হয় না। আপনি এর আগেও বলেছেন। সেগুলো হতে পারে না। আপনি যদি বলেন যে, এখন আপনি নিরপেক্ষ সরকারের জন্য রাজি আছেন তাহলে আমি হরতাল উইথড্র করে নেব। আপনি বলেন।হাসিনা: যারা মাইনাস টু করতে চেয়েছিল, তাদের আবার সুযোগ দিতে চান কেন?খালেদা: আমি দিতে চাই না। সেটা আপনি দিতে চান। আপনি যে ভাষায় কথা বলেন।হাসিনা: না আপনি তো খুব মধুর ভাষায় কথা বলছেন।খালেদা: আপনি যে ভাষায় কথা বলেন সে জন্য আমরা আপনার বক্তব্য শুনিই না।হাসিনা: আমরা যেটা চাচ্ছি যে, পার্লামেন্টে আমরা আছি। পার্লামেন্টে আমরা যেহেতু আছি, কখনো আপনি অপজিশনে কখনো আমি অপজিশনে। কখনো আমি সরকারে কখনো আপনি সরকারে। আমরা যা করব পার্লামেন্টের ভেতরেই করব।খালেদা: না, না আপনার মিটিংয়ের সময় তো আপনি নষ্ট করছেন। আপনার মিটিংয়ের টাইম তো আমি নষ্ট করতে চাই না। আপনার তো মিটিংয়ে যাওয়ার কথা। আপনি দেরি করছেন তো। আপনার মিটিংয়ের দেরি আমি করতে চাচ্ছি না। এভাবে সব কথা হয় না।হাসিনা: হরতালটা উইথড্র করে দেন।খালেদা: না, আপনি বলেন আগে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে। এটা নিয়ে আলোচনা হবে। তাহলে আমি হরতাল উইথড্র করে নেব।হাসিনা: এটা নিয়ে তো যখন কথা হবে তখন আলোচনা হবে আপনাদের সঙ্গে।খালেদা: আলোচনা তো কোন কোন ব্যক্তি নিরপেক্ষ হবে, নির্দলীয় কীভাবে হবে, আপনার ফর্মুলা থাকবে না আমার ফর্মুলা থাকবে, এগুলো নিয়ে তো আরও অনেক আলোচনা বাকি আছে।হাসিনা: আপনি নিজের দলের লোকের ওপর ভরসা করেন না।খালেদা: আমার দলের লোকের ওপর আমার ভরসা আছে। আপনি যদি বলেন যে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন করতে রাজি আছেন, তাহলে কালকেই আমি হরতাল উইথড্র করে দেব। রাতের মধ্যে ঘোষণা দিয়ে দেব হরতাল উইথড্র হবে। আমরা কালকেই আপনার সঙ্গে আলোচনায় বসব। কোনো অসুবিধা নেই। আপনি শুধু এটুকু বলেন।হাসিনা: আপনি সর্বদলীয়টা মেনে নেন।খালেদা: না। সর্বদলীয় মানা যায় না। সর্বদলীয় মানা যায় না।হাসিনা: পরে আবার কাকে আনবেন ফখরুদ্দীন, মইনুদ্দিন হয়ে যাবে। আপনি আর ফখরুদ্দীন, মইনুদ্দিন সৃষ্টি কইরেন না। বরং যা করি আমরা নিজেরা নিজেরা করি।খালেদা: আমি কিছুই করতে চাই না। আপনি নির্দলীয় সরকারে রাজি হলে বলেন, না হলে আপনি ৩০ তারিখের পরে ডেট দেন। আমি করব। হরতাল প্রত্যাহার হবে না। ২৯ তারিখের পরে ডেট দেন। আমি আলোচনা করব।হাসিনা: আমি ২৮ তারিখে আপনাকে দাওয়াত দিচ্ছি। আপনি আসেন।খালেদা: আমি ২৮ তারিখে যেতে পারব না। হরতালের মধ্যে আমি কোথাও যাই না।হাসিনা: কাদেরকে আনবেন বলেন। আপনি ২৮ তারিখে আসেন।খালেদা জিয়া: ২৮ তারিখে আমি যাব না। হরতাল প্রত্যাহার হবে না। আপনি যদি ৩০ তারিখে রাজি থাকেন ...।শেখ হাসিনা: ধন্যবাদ। আপনি ভালো থাকেন।(কথোপকথনের কিছু অংশ অস্পষ্ট। ফলে কোনো কোনো বাক্যে অস্পষ্টতা থাকতে পারে।)জামালপুরের মাদারগঞ্জে কৃষক লীগের নেতা সামিউল ইসলামের বাড়িতে গত বুধবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এতে ৩০ হাত লম্বা একটি টিনের দোচালা ঘরসহ কমপক্ষে তিন লাখ টাকার মালামাল পুড়ে গেছে।এ ঘটনার জের ধরে গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে শ্রমিক দল নেতার দোকান ভাঙচুর ও লুট করেছেন আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা-কর্মীরা।আগুনে খতিগ্রস্ত কৃষক লীগের গুনারীতলা ইউনিয়ন শাখার সহসভাপতি ও নিশ্চিন্তপুর গ্রামের বাসিন্দা সামিউল ইসলাম জানান, গভীর রাতে কে বা কারা সিঁধ কেটে তাঁর থাকার ঘরে ঢুকে ধান-চাল রাখার মাচায় আগুন ধরিয়ে দেয়। ঘরে আগুন দেওয়ার ঘটনা টের পেয়ে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে তিনি কোনোমতে ঘর থেকে বেরিয়ে প্রাণে বেঁচে গেলেও তাঁর দেড় বছরের সন্তান আল আমিনের পা পুড়ে যায়।সামিউল ইসলাম জানান, তাঁর কোনো ব্যক্তিগত শত্রু নেই। তাঁকে সপরিবারে হত্যা করতে বিএনপির লোকজনই তাঁর ঘরে পেট্রল ঢেলে আগুন দিয়েছে।এ ঘটনার জের ধরে গতকাল সকালে মোসলেমাবাদ বাজারে গুনারীতলা ইউনিয়নের শ্রমিক দলের আহ্বায়ক আল আমিনের মোসলেমাবাদ বাজারে হাঁড়ি-পাতিলের দোকান আওয়ামী লীগের লোকজন ভাঙচুর করেন। সেখান থেকে পাঁচ লাখ টাকার মালামাল লুট করে বলে দোকানের মালিক আল আমীন দাবি করেন। পরে সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।এতদ্বারা সকলের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, আর মাত্র এক দিন পরই মহাসমারোহে আসছে নতুন বছর। যথাযথ মর্যাদা ও ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে নতুন বছর উদ্যাপন করার জন্য এরই মধ্যে প্রস্তুতি নিয়েছেন অনেকে। বিকট শব্দে হর্ন বাজিয়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর জন্য অনেকেই ঠিকঠাক করছেন নিজের গাড়ির হর্ন। ঠান্ডায় অনেকের গলা বসে গেছে। তার পরও ১২টা এক মিনিটে ‘হ্যাপি নিউ ইয়ার’ বলে জোরে চিৎকার করার জন্য অনেকে খাচ্ছেন আদা চা। তবে নতুন বছর আসতে যেহেতু খুব বেশি দেরি নেই, তাই ২০১৪ সালের ইশতেহার নিয়েও চিন্তাভাবনা করা উচিত সবার। শুধু রাজনৈতিক দলগুলোই পরবর্তী পাঁচ বছরের জন্য ইশতেহার ঘোষণা করবে, এমন কোনো কথা নেই। ২০১৪ সালটা কীভাবে কাটানো যায়, সে বিষয়ক ইশতেহার যে কেউই ভাবতে পারে। নতুন বছরে নতুনভাবে কার কার সঙ্গে প্রেম করবেন, ফেসবুকে কী কী স্ট্যাটাস দেবেন কিংবা টিভিতে কোন কোন সিরিয়াল দেখবেন, তা আগে থেকেই ঘোষণা দিয়ে রাখতে পারেন। আমরা যেমন ঘোষণা দিচ্ছি, আগামী বছর প্রতি সোমবার প্রকাশিত হবে রস+আলো! তবে এমনিতে ৭ কে অনেকেই সৌভাগ্যের সংখ্যা মনে করেন, সুতরাং ১৪ মানে ডাবল সৌভাগ্য! ২০১৪ সবার জীবনে ডাবল সৌভাগ্য বয়ে আনুক—এ প্রত্যাশায় শেষ করছি এ বছরের রসকীয়। আপনাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের সংবাদ এই যে, এ বছর আর রস+আলো বের হবে না। বিদায়। |
ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির সঙ্গে কথা বললেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। শুক্রবার তাঁদের টেলিফোনে কথা হয়। ১৯৭৯ সালে ইসলামি বিপ্লবের পর ইরানের কোনো প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্টের এটাই প্রথম সরাসরি যোগাযোগ। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে অংশ নেওয়ার পর তেহরানের উদ্দেশে নিউইয়র্ক ছাড়ার আগে ওবামার সঙ্গে ফোনে কথা বলার আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন রুহানি। তাঁর এই আগ্রহের প্রেক্ষাপটে হোয়াইট হাউস দ্রুত দুই নেতার মধ্যে ফোনালাপের ব্যবস্থা করে বলে মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। এর আগে জাতিসংঘে দুই নেতার মধ্যে করমর্দনের সম্ভাবনা নিয়ে বিভিন্ন মহলে ব্যাপক প্রত্যাশার সৃষ্টি হয়েছিল। রুহানি ও ওবামা ফোনে প্রায় ১৫ মিনিট কথা বলেন। তাঁদের আলোচনাকে আন্তরিক বলে আখ্যায়িত করেছে হোয়াইট হাউস। এক বিবৃতিতে ওবামা বলেছেন, ‘একটুক্ষণ আগে আমি ফোনে ইরানের প্রেসিডেন্ট রুহানির সঙ্গে কথা বলেছি। ইরানের পারমাণবিক প্রকল্প বিষয়ে সমঝোতায় পৌঁছার ব্যাপারে আমাদের সাম্প্রতিক প্রচেষ্টার কথা আলোচনা করেছি।’ ওবামা বলেন, ‘১৯৭৯ সালের পর এই প্রথম কোনো ইরানি প্রেসিডেন্টের সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্টের কথা হলো। এই ফোনালাপ ইঙ্গিত দেয় যে, পরিবর্তন শুরু হয়েছে।’ ইরানের পক্ষ থেকেও এই ফোনালাপকে ইতিবাচক বলে উল্লেখ করা হয়েছে। ইসলামী বিপ্লবের পর ইসলামপন্থীরা তেহরানে মার্কিন দূতাবাস দীর্ঘদিন অবরোধ করে রেখেছিল। এরপর দুই দেশের সম্পর্কে তিক্ততা ক্রমেই বেড়েছে। গত মঙ্গলবার জাতিসংঘে দেওয়া ভাষণে রুহানি বলেছিলেন, ইরান তার পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে ফলপ্রসূ সংলাপের জন্য প্রস্তুত। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট রুহানির ‘আপসমূলক’ অবস্থান ও বক্তব্যের জন্য দেশে কারও কারও মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া হয়েছে। রুহানি গতকাল তেহরানে ফিরলে প্রতিবাদকারীদের অনেকে তাঁর দিকে জুতা ছুড়ে মারে। এএফপি ও বিবিসি।হাইকোর্টের নির্দেশে বরখাস্ত হয়েছিলেন। দুই ঘণ্টা পরই আপিল বিভাগের নির্দেশে স্বপদে ফিরলেন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) অন্তর্বর্তীকালীন চেয়ারম্যান নাজাম শেঠি।মাস চারেক আগে অন্তর্বর্তীকালীন চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন। দায়িত্ব ছিল একটি সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করে নির্বাচিত নতুন চেয়ারম্যানের হাতে দায়িত্ব তুলে দেওয়া। সেই কাজে ব্যর্থ হয়েছেন বলে নাজাম শেঠিকে অবৈধ ঘোষণা করেছিলেন ইসলামাবাদ হাইকোর্ট। একই কোর্ট গত জুনে আগের চেয়ারম্যান জাকা আশরাফকেও বরখাস্ত করার নির্দেশ দিয়েছিলেন।সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত না হওয়ার অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে। এর পরই নাজাম শেঠিকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের অন্তর্বর্তীকালীন কমিটি গঠন করেছিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। ১৮ অক্টোবরের মধ্যে পিসিবির একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের দায়িত্ব পায় কমিটি। সেটি করতে ব্যর্থ হওয়ায় হাইকোর্ট শেঠিকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। এএফপি।কবি মহাদেব সাহার বাবা-মায়ের নামে চালু হওয়া গদাধর-বিরাজমোহিনী সঞ্চারক বৃত্তি প্রদান করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে রায়গঞ্জ উপজেলার ধানগড়া উচ্চবিদ্যালয়ের সভাকক্ষে এক অনুষ্ঠানে বৃত্তিপ্রাপ্ত ছাত্রী লাবণী ইয়াসমিন ও ছাত্র খায়রুল হাসানের হাতে পাঁচ হাজার করে টাকা ও সনদ তুলে দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ধানগড়া উচ্চবিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক বিজয় কুমার সাহা প্রমুখ।রায়গঞ্জ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি।পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কর্পূরকাঠি গ্রামে গতকাল রোববার বিকেলে একটি টমটম উল্টে গেলে এর নিচে চাপা পড়ে আমির হোসেন হাওলাদার (৬০) নামের এক ব্যক্তি প্রাণ হারিয়েছেন।স্থানীয় কয়েকজন জানান, বিকেল সাড়ে চারটায় উপজেলার কালাইয়া ইউনিয়নের কর্পূরকাঠি গ্রামের আমির হোসেন টমটমে জ্বালানি কাঠভর্তি করে গ্রামের সড়ক দিয়ে বাড়ি যাচ্ছিলেন। বাড়ির কাছেই টমটমটি উল্টে সড়কের পাশে পড়ে যায়। এ সময় তিনি টমটমের নিচে চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান।বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নরেশ চন্দ্র কর্মকার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। |
মিরপুর সাঁতার কমপ্লেক্সের বিজয়মঞ্চে মন খারাপ করে বসে ছিল আরিফুল ইসলাম। তাকে সান্ত্বনা দিচ্ছিলেন সহোদর সাঁতারু শরীফুল ইসলাম। জাতীয় বয়সভিত্তিক সাঁতারের ১০টি ইভেন্টের ৯টিতেই সোনা জিতেও হাসি নেই বিকেএসপির সাঁতারু আরিফুলের!গত বছর ১১টি ইভেন্টের ৭টিতেই রেকর্ড গড়েছিল আরিফুল। এবার রেকর্ডের জন্যই হাপিত্যেশ করছে কিশোরগঞ্জের কিশোর। আরিফুল রেকর্ড না করলেও কালও চারটি জাতীয় রেকর্ড হয়েছে। বালকদের ১০০ মিটার বাটারফ্লাইয়ে (১৩-১৪ বছর) বিকেএসপির জাহিদুল ইসলাম, ২০০ মিটার ফ্রিস্টাইলে লালনশাহ সুইমিং ক্লাবের নয়ন আলী, বালিকাদের ৫০ মিটার ফ্রি-স্টাইলে মেহেরপুর সুইমিং ক্লাবের রাশেদা খাতুন, ২০০ মিটার বাটারফ্লাইয়ে সাগরখালী সুইমিং ক্লাবের মরিয়ম খাতুন নতুন জাতীয় রেকর্ড গড়েছে।পদক তালিকায় যথারীতি বিকেএসপিরই আধিপত্য। দ্বিতীয় দিনে তারা জিতেছে ৪১ সোনা, ২৯ রুপা ও ২৩টি ব্রোঞ্জ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বাংলাদেশ আনসার জিতেছে ৯ সোনা, ১৩ রুপা ও ৯টি ব্রোঞ্জ। এ ছাড়া মেহেরপুর, লালনশাহ ও সাগরখালী সুইমিং ক্লাব ৪টি করে সোনা জিতেছে। পূর্বাঞ্চল সুইমিং ক্লাব, কুষ্টিয়া জেলা ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা জিতেছে ২টি করে। আজ শেষ হচ্ছে জাতীয় বয়সভিত্তিক সাঁতার।গত বছর ঢাকায় ‘দ্য বিগ বাংলা রান’ আয়োজন করেছিল মিনি ম্যারাথনের। এবার সেটি হচ্ছে পর্যটন শহর কক্সবাজারে। আগামী পরশু সকাল সাতটায় বিশ্বের সবচেয়ে বড় সমুদ্রসৈকতে হবে ২১.১ কিলোমিটারের এই ম্যারাথন। কেনিয়ার চার্লস থাইয়া, ডেভিড ক্যারোলিনসহ প্রায় দুই হাজার প্রতিযোগীর অংশ নেওয়ার কথা। চ্যাম্পিয়ন পাবেন এক হাজার মার্কিন ডলার। গতবারের চ্যাম্পিয়ন মিরোনা আক্তার ছয়-সাত মাস পেরিয়ে গেলেও অর্থ পুরস্কার পাননি বলে অভিযোগ করেছেন।তবে এবার কোনো সমস্যা হবে না বলে কাল সংবাদ সম্মেলনে আশ্বাস দিলেন পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান বিগ বাংলা রানের চেয়ারম্যান আবিদুর রহমান। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে আয়োজিত ওই সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিগ বাংলা রানের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর চিত্রনায়ক ফেরদৌস, জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার জাভেদ ওমর, সহযোগী পৃষ্ঠপোষক ওয়ালটনের কর্মকর্তাসহ আরও অনেকেই।ফজলুল কাদের কাদেরীবিশিষ্ট ব্যাংকার বাংলাদেশ জেনোসাইড অ্যান্ড ওয়ার্ল্ড প্রেস গ্রন্থের লেখক ফজলুল কাদের কাদেরীর চেহলাম আজ শুক্রবার বাদ মাগরিব রাজধানীর গ্রিন রোডের বাসায় অনুষ্ঠিত হবে। চেহলামে মরহুমের আত্মীয়স্বজনদের উপস্থিত থাকতে পরিবারের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি।বরিশাল মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষার ফলাফলে এবার ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা এগিয়ে রয়েছে। পাসের হার এবং জিপিএ ৫—দুটিতেই ছেলেদের তুলনায় তারা এগিয়ে গেছে।ফলাফলে দেখা গেছে, এ বছর বরিশাল শিক্ষা বোর্ড থেকে ৮৫ হাজার ৬৭৫ জন জেএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেছে ৮২ হাজার ৭৬২ জন। এর মধ্যে মেয়েরা পাস করেছে ৪২ হাজার ৭১০ জন। পাসের হার ৯৬ দশমিক ৮৩। আর উত্তীর্ণ হওয়া ছেলেদের সংখ্যা ৪০ হাজার ৫২। পাসের হার ৯৬ দশমিক ৩৫। মেয়েরা দুই হাজার ৬৫৮ জন বেশি পাস করেছে। মেয়েরা ছেলেদের চেয়ে এক হাজার ৯৪৯টি জিপিএ ৫ বেশি পেয়েছে।বরিশাল সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহবুবা হোসেন বলেন, আগে নারীদের শিক্ষার প্রতি আগ্রহ ছিল না। অভিভাকদের ধারণা ছিল, মেয়েদের বেশি পড়িয়ে লাভ কী। এখন সে ধারণা পাল্টে গেছে। এখন অভিভাবকেরা যেমন সচেতন হয়েছেন, তেমনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিবেশ ভালো হওয়ায় মেয়েরা ফলাফলে এগিয়ে যাচ্ছে।বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভানেত্রী রাবেয়া খাতুন বলেন, অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে নারীরা অনেক বেশি সচেতন। মা-বাবার আন্তরিকতার কারণেই মেয়েরা এগিয়ে এসেছে। নারী-পুরুষের সমান অংশীদারি যে বাংলাদেশ আমরা দেখতে চাই, তার প্রতিফলন ঘটেছে সমাপনী, জেএসসিসহ বিভিন্ন পরীক্ষায়।বরিশাল মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মুহাম্মদ শাহ আলমগীর বলেন, পরীক্ষার সময় দেশের অস্বাভাবিক পরিস্থিতি শিক্ষার্থীদের বেশি মনোযোগী করেছে। তা ছাড়া গত বছরের এক বিষয়ে অকৃতকার্য হওয়া সাড়ে চার হাজার পরীক্ষার্থীর সবাই পাস করেছে। সব মিলে সার্বিকভাবেই ফলাফল ভালো হয়েছে।বরিশাল মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান বিমল কৃষ্ণ মজুমদার বলেন, ‘আমরা বরিশাল বোর্ডের অধীন সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছি। প্রত্যন্ত অঞ্চলে গিয়ে অভিভাবক-শিক্ষকদের সঙ্গে মতবিনিময় করার ফলে নারীরা শিক্ষার প্রতি বেশি আগ্রহী হয়েছে। যার প্রমাণ জেএসসি পরীক্ষার ফলাফল।’ |
রংপুরের পীরগাছা উপজেলায় ১২ দিনেও অপহূত ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেনকে (৩৮) উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। অপহূত ব্যবসায়ীর স্ত্রী মাহিতন বেগম ১৯ সেপ্টেম্বর পীরগাছা থানায় একটি অপহরণ মামলা করেন।মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, উপজেলার অনন্তরাম মাছুয়াপাড়া গ্রামের আনোয়ার হোসেন স্ত্রীকে নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ঢাকায় ঝুটের ব্যবসা করে আসছিলেন। সম্প্রতি তিনি গ্রামের বাড়িতে এসে স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য পাকাঘর নির্মাণের পরিকল্পনা করেন। তিনি ১৭ সেপ্টেম্বর বেলা ১০টার দিকে বাড়ির নির্মাণসামগ্রী কেনার জন্য এক লাখ ৩০ হাজার টাকা নিয়ে বাড়ি থেকে ভ্যানে করে পীরগাছা বাজারের উদ্দেশে বের হন। এ সময় পীরগাছা রেলওয়ে স্টেশনের দক্ষিণ রেলগেটে একদল সন্ত্রাসী তাঁকে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়। এজাহারে উপজেলার অনন্তরাম চরকতলা গ্রামের তাজুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর আলম, ডালিয়া বেগম ও আজিম উদ্দিনকে আসামি করা হয়।সাউদি, ম্যাকলেনাহান, নিশাম, অ্যান্ডারসন, নাথান ম্যাককালাম, ডেভচিচ, উইলিয়ামসন, এলিয়ট। কাল বাংলাদেশের বিপক্ষে নিউজিল্যান্ডের আট বোলার বল করেছেন। ওয়ানডেতে বাংলাদেশের বিপক্ষে আট বোলার ব্যবহারের এটি ১৫তম উদাহরণ। বাংলাদেশের বিপক্ষে এক ম্যাচে নয়জনের হাতে বল তুলে দেওয়ার উদাহরণ আছে দুটি। দুটিই ১৯৯৯ সালে। ওই বছর ১৬ মার্চ বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে পাকিস্তান ও ৮ অক্টোবর ওয়েস্ট ইন্ডিজ নয়জন বোলার ব্যবহার করেছিল। ওয়ানডে এক ইনিংসে সবচেয়ে বেশি বোলারের বল করার রেকর্ড এটিই। সব মিলিয়ে ওয়ানডেতে ১৩ বার ৯ বোলার বল করেছেন।সুনামগঞ্জের ধরমপাশা উপজেলার খরমা নদী নামের জলমহাল দখলকে কেন্দ্র করে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে দুই গ্রামের বাসিন্দাদের সংঘর্ষে নারীসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।জানা যায়, উপজেলার খরমা নদী নামে প্রায় ১৬ একর আয়তনের একটি জলমহাল রয়েছে। মাহমুদ নগর মৎস্যজীবী সমিতি আট হাজার ৬৫ টাকা পরিশোধ করে ২৪ অক্টোবর খাস কালেকশন ইজারা নেন। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে খাশিকোনা গ্রামের নিক্সন মিয়া ও জামাল হোসেনের নেতৃত্বে শতাধিক লোক লাঠিসোঁটা নিয়ে জলমহালটি দখল করতে যান। খবর পেয়ে কাকিয়াম গ্রামের ৪০-৫০ জন লোক প্রতিরোধ করতে এগিয়ে গেলে সংঘর্ষ বাধে।চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার কোষাঘাটা এলাকা থেকে গতকাল রোববার ১০ কেজি রুপার বার জব্দ ও দুই তরুণকে আটক করেছে চোরাচালানবিরোধী টাস্কফোর্স। আটক হওয়া দুজন হলেন জীবননগর উপজেলার কাশিপুর গ্রামের মো. শাহীন ও দামুড়হুদা উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামের উজ্জ্বল হোসেন। এ ঘটনায় দামুড়হুদা থানায় একটি মামলা করা হয়েছে।চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি |
আমন্ত্রণমূলক জাতীয় মহিলা হ্যান্ডবলের ফাইনালে উঠেছে বিজেএমসি ও রাঙামাটি জেলা। পল্টন হ্যান্ডবল স্টেডিয়ামে কাল প্রথম সেমিফাইনালে বিজেএমসি ২১-১ গোলে হারিয়েছে দিনাজপুর জেলাকে। অন্য সেমিফাইনালে রাঙামাটি জেলা ২৫-১৮ গোলে হারিয়েছে ঢাকা জেলাকে। আজ ফাইনাল।সবাই প্রশ্ন করছেন—কী হবে, কী ঘটতে যাচ্ছে বাংলাদেশে? দর্শক-পাঠকেরা সাংবাদিকদের কাছে প্রশ্নটা করেন, আর সাংবাদিকেরা করেন বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে। একটু আগে একজন টিভি সাংবাদিকও আমাকে এই একই প্রশ্ন করছিলেন। আমি একজন গোবেচারা সমাজবিজ্ঞানী। আমার বিদ্যা আমাকে সমাজের মূল প্রবণতাসমূহ বিশ্লেষণ করতে শিখিয়েছে। কিন্তু এখন কী হবে, সেটা বিশ্লেষণ করার মতো ক্ষমতা আমার নেই। অনেকে প্রশ্ন করেন, আবার এক-এগারো হবে কি না। অর্থাৎ ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হবে কি না। ইতিহাসে কখনো কখনো পুনরাবৃত্তি ঘটে। তবে বেশির ভাগ সময়ই ঘটে না। আর ঘটলেও ভিন্ন অবয়বে ঘটে। তাহলে এই প্রশ্নের উত্তর কাদের কাছে খুঁজব? পেশাগতভাবে এই প্রশ্নের জবাব দেওয়ার জন্য সবচেয়ে যোগ্য ব্যক্তি হলেন জ্যোতিষীরা। আমি ঠাট্টা করছি না। ভারত উপমহাদেশেই জ্যোতিষীরা একটি চাঞ্চল্যকর ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন, যা সম্পূর্ণভাবে ফলে গিয়েছিল। ঘটনাটা বর্ণনা করা হয়েছে ল্যারি কলিন্স ও দোমিনিক ল্যাপিয়েরের ফ্রিডম অ্যাট মিডনাইট গ্রন্থে। ঘটনাটা হচ্ছে এ রকম:১৯৪৭ সালে ভারতকে যখন স্বাধীনতা দেওয়া হয়, তখন কংগ্রেস নেতাদের বলা হয় যে ১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট ভারতের স্বাধীনতা আগে ঘোষণা করা হবে। এরপর ১৪ আগস্ট রাতে অথবা ১৫ আগস্ট লর্ড মাউন্টব্যাটেন করাচি গিয়ে পাকিস্তানের স্বাধীনতা ঘোষণা করবেন। কংগ্রেসের নেতারা ছিলেন খুবই হুঁশিয়ার। তাঁরা এই খবর পেয়ে তাড়াতাড়ি জ্যোতিষীর কাছে গেলেন। জ্যোতিষীরা লগ্ন হিসাব কষে বললেন, ১৪ আগস্ট মধ্যরাতের আগে ভারতের স্বাধীনতা ঘোষিত হলে মহাবিপদ ঘটবে। ভারতের অস্তিত্ব বিপন্ন হবে। কংগ্রেসের নেতারা জওহরলাল নেহরুর কাছে দৌড়ালেন। নেহরু তুকতাক মানেন না। তবু তাঁকে বাধ্য করা হলো মাউন্টব্যাটেনকে অনুরোধ করতে, যাতে ভারতের স্বাধীনতা ১৪ আগস্ট মধ্যরাতের পরে ঘোষিত হয়। এর পর মাউন্টব্যাটেনের দপ্তর থেকে জিন্নাহকে আগে স্বাধীনতার সনদ গ্রহণে অনুরোধ করা হয়। জিন্নাহ মহানন্দে রাজি হন। ফলে ১৪ আগস্টের দিনের বেলা পাকিস্তান স্বাধীন হয়। আর রাত ১২টার পরে ভারত স্বাধীনতা লাভ করে। পরবর্তী ইতিহাস থেকে জ্যোতিষীরা অভ্রান্ত প্রমাণিত হন।১৪ আগস্ট রাত ১২টার আগে স্বাধীনতাপ্রাপ্ত পাকিস্তান নামের যে রাষ্ট্র জন্ম নেয় তা ভেঙে যায়, আরও কত ভাঙবে তা জানি না। অথচ রাত ১২টার পর জন্ম নেওয়া ভারত তার অস্তিত্ব এখনো অটুট রেখেছে। আমি তাই গণমাধ্যমের বন্ধুদের অনুরোধ করব, তাঁরা যেন শুধু বিজ্ঞজনদের কাছে দৌড়াদৌড়ি না করে জ্যোতিষীরা এ সম্পর্কে কী বলছেন, তা যেন আমাদের অবহিত করেন। যদি জ্যোতিষশাস্ত্রে বিশ্বাস না করেন, তাহলে ঐতিহাসিকদের কাছে যেতে পারেন। বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি অত্যন্ত মর্মান্তিক হলেও বাংলাদেশের ইতিহাসে অভিনব নয়। ঐতিহাসিকেরা আপনাদের নিয়ে যাবেন অষ্টম শতাব্দীতে। এই শতাব্দীর প্রায় প্রথম ৫০ বছর ধরে বাংলায় মাৎস্যন্যায় বিরাজ করেছিল। মাৎস্যন্যায়ের সরল অর্থ হলো মাছের মতো অবস্থা। অর্থাৎ বড় মাছ ছোট মাছকে খেয়ে ফেলে। সমাজে যখন নৈরাজ্য থাকে, তখন যাঁরা সমাজে শক্তিশালী, তাঁরা দুর্বল মানুষকে অত্যাচার ও নিপীড়ন করে থাকেন। বাংলাদেশের ইতিহাসের আদিকালে যে নৈরাজ্য দেখা দিয়েছিল, তার সমাধান অস্ত্রের বলে করা সম্ভব হয়নি। এর সমাধান হয়েছিল সর্বসম্মতিক্রমে গোপালকে রাজা নির্বাচনের মাধ্যমে। অর্থাৎ গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নৈরাজ্যের অবসান করা হয়েছিল।আমার মনে হয়, আমাদের আজকের সমস্যা সমাধানে যদি গণভোটের ব্যবস্থা করা হতো, সেটাই আমাদের জন্য সবচেয়ে টেকসই ও মঙ্গলজনক হতো। তবে বাংলাদেশের ইতিহাস প্রমাণ করে যে কখনোই এখানে অগণতান্ত্রিক শক্তি দীর্ঘকাল টিকে থাকতে পারেনি। এমনকি ১৯৭১ সালে আমরা যে মুক্তিযুদ্ধ করেছি, সেটাও ছিল একটি গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। কাজেই এখানে মানুষের ইচ্ছার বিরুদ্ধে যে ব্যবস্থাই নেওয়া হোক না কেন, তা কখনোই টেকসই হবে না। আবার ইতিহাস এই সাক্ষ্যও দেয়, মানুষের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কখনো কাউকে বসানো হলে তার বিরুদ্ধে বাংলার মানুষ বারবার বিদ্রোহ করেছে।যদি জ্যোতিষী ও ঐতিহাসিকদের পছন্দ না হয়, তাহলে আপনাকে যেতে হবে রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ও সমাজবিজ্ঞানীদের কাছে। তাঁরা আমাদের বলবেন, এই সংকট সাময়িক সংকট নয়। আমাদের রাষ্ট্রব্যবস্থার গভীরে এই সংকটের মূল নিহিত। আমাদের দেশে নির্বাচন নিয়ে বারবার এ সংকটের কারণ হলো, এখানে যে গণতন্ত্র কার্যকর রয়েছে, সেটা অনেকাংশেই একটি খোলস। এর ভেতরে কোনো প্রাণশক্তি নেই। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় উদারনৈতিক মূল্যবোধের দরকার। ছোট মন নিয়ে গণতন্ত্রের মতো মহৎ আদর্শের বাস্তবায়ন করা যায় না।কিন্তু সমস্যাটা আরও জটিল। বাংলাদেশের গণতন্ত্র কায়েমি স্বার্থবাদীদের হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে। কয়েকটি কারণে এখানে রাষ্ট্রব্যবস্থা দখল করলে কেউ ছাড়তে চায় না। প্রথম কারণ হলো, এখানে কেন্দ্রীয় সরকারের নির্বাহী বিভাগের শীর্ষবিন্দুতে সব ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত। এই কেন্দ্রীভূত ক্ষমতার প্রতিষেধক ও নিবারক নেই। এর ফলে সমাজে ক্ষমতার ভারসাম্যও (চেক অ্যান্ড ব্যালান্স) নেই। দ্বিতীয় সমস্যাটা হলো, বাংলাদেশে খারাপ কাজ করলে কোনো বিচার হয় না, আর ভালো কাজ করলেও পুরস্কার থাকে না। কাজেই রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করলে অভূতপূর্ব সব কর্মকাণ্ড অবলীলায় করা সম্ভব হয়।তৃতীয়ত, যে নির্বাচনব্যবস্থা, তাতে কোনোমতে এক ভোট বেশি পেয়ে নির্বাচিত হলেই পাঁচ বছরের জন্য সাংসদ নির্বাচিত হওয়া সম্ভব। এর ফলে নির্বাচনে জাল-জালিয়াতির আকর্ষণ অনেক বেশি। এ ধরনের নির্বাচনব্যবস্থা নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও জালিয়াতি ঘটে। পৃথিবীর অনেক দেশেই আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বাংলাদেশের বড় দুই জোটই এ সম্পর্কে কোনো কথা বলছে না বা কেউ বললেও গুরুত্ব দেয় না। সবশেষে, এখানে সরকার ও দলের মধ্যে ব্যবধান ঘুচিয়ে ফেলা হয়েছে। যিনিই সরকারপ্রধান, তিনিই দলের প্রধান। তাই দলের কোনো স্বতন্ত্র অস্তিত্ব থাকে না। দল ও সরকার একাকার। বড় দুই রাজনৈতিক জোটের কেউই দীর্ঘস্থায়ী ও মৌলিক পরিবর্তন সম্পর্কে কখনোই কোনো কথা বলেন না। দীর্ঘস্থায়ী পরিবর্তন না করার মতো ব্যাপারে দুটি দলই একেবারে একমত। সুতরাং মৌলিক ব্যাপারে তাঁদের মধ্যে কোনো ভিন্নতা নেই। ভিন্নমত শুধু স্বল্পস্থায়ী নির্বাচনের প্রক্রিয়া নিয়ে। কাজেই আমাদের একই সঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী ও স্বল্পমেয়াদি পরিবর্তনের কথা চিন্তা করতে হবে।যদি জ্যোতিষী, ঐতিহাসিক বা সমাজবিজ্ঞানী—তাঁদের কাউকেই আপনার পছন্দ না হয়, তাহলে আপনাকে যেতে হবে ক্রীড়াতত্ত্ববিদ বা গেম হিরোইস্টদের কাছে। তাঁরা বলবেন, এটি একটি হার-জিতের (জিরো-সাম গেম) খেলা। এই খেলায় কী ধরনের রণকৌশল অবলম্বন করলে জেতা যায়, সেটা তাঁরা বাতলে দিতে পারবেন। আমার অবশ্য এ খেলায় আগ্রহ নেই। কারণ, এ খেলা খেলতে গেলে আমাদের মতো সাধারণ মানুষের জীবনে যে দুর্যোগটা নেমে আসবে, তা নিয়ে আমি উদ্বিগ্ন।বাংলাদেশে আজ যে সমস্যা, তা রাজনীতিকেরা সৃষ্টি করেছেন। নাগরিক হিসেবে আমাদের দাবি যে তাঁদের তৈরি সমস্যার সমাধান তাঁদেরই বের করতে হবে।আকবর আলি খান: তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা।অর্চনাঅর্চনা নামের ১৪-১৫ বছরের একটি মেয়ে গত মঙ্গলবার ধামরাই, ঢাকা থেকে হারিয়ে গেছে। সে ভোরে বাসা থেকে বের হয়ে আর ফেরেনি। তার পরনে ছিল লাল জামা। তার বাবার নাম গঙ্গা, মা সাধনা। এ ব্যাপারে ওই দিনই ধামরাই থানায় একটি জিডি করা হয়েছে (জিডি নং: ১১৫১/২৬১১৩)। কোনো সহূদয়বান ব্যক্তি তার সন্ধান পেলে ধামরাই থানা, ঢাকা অথবা নিম্ন ঠিকানায় যোগাযোগের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।ঠিকানা: মিলন কুমার চক্রবর্তী, গ্রাম-কায়েতপাড়া (বকুলতলা), পো.+থানা ধামরাই, জেলা ঢাকা। ফোন: ০১৭১৭৩৪২৩৫২, ০১৭২০৫৬৬০৩৯। বিজ্ঞপ্তি।জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষায় গত বছরের তুলনায় এ বছর যশোর শিক্ষা বোর্ডে জিপিএ-৫ তিন গুণের বেশি বেড়েছে। বেড়েছে পাসের হারও। এবার পাসের হারে ছেলেরা এবং জিপিএ ৫-এ মেয়েরা এগিয়ে রয়েছে।শিক্ষা বোর্ড থেকে জানা গেছে, এ বছর এ বোর্ডের অধীনে দুই হাজার ৭০৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে এক লাখ ৭৭ হাজার ১৫ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়। এর মধ্যে এক লাখ ৫৭ হাজার ৫৯৩ জন পাস করেছে। পাসের হার ৮৯ দশমিক শূন্য তিন। গত বছর পাসের হার ছিল ৮৫ দশমিক ২৮। এবার মেয়েদের পাসের হার ৮৮ দশমিক ৭৮ ও ছেলেদের পাসের হার ৮৯ দশমিক ৩। এ বছর ১৪ হাজার ৭০৪ জন পরীক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে। গত বছর পেয়েছিল তিন হাজার ৯৭৮ জন। এবার সাত হাজার ৮৬৭ মেয়ে ও ছয় হাজার ৮৩৭ জন ছেলে জিপিএ-৫ পেয়েছে।বোর্ড থেকে আরও জানা গেছে, বোর্ডে সেরা ২০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে খুলনার সরকারি করনেশন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় প্রথম, ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজ দ্বিতীয় ও খুলনা জিলা স্কুল তৃতীয় স্থান অর্জন করেছে। এ তালিকায় যশোর ও খুলনার সাতটি করে, কুষ্টিয়া ও সাতক্ষীরার দুটি করে এবং ঝিনাইদহ ও মেহেরপুর জেলার একটি করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। এ তালিকায় মাগুরা, নড়াইল, চুয়াডাঙ্গা ও বাগেরহাট জেলার কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থান পায়নি। এ তালিকায় যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার শেখ আকিজউদ্দীন উচ্চবিদ্যালয় (১৪তম) ও কেশবপুর উপজেলার কেশবপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় (১৯তম) ও মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার সন্ধানী স্কুল অ্যান্ড কলেজ (২০তম) স্থান পেয়েছে।যশোর শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আবু দাউদ জানান, এবারের পরীক্ষার্থীরা পিএসসি পরীক্ষা দেওয়ার অভিজ্ঞতা নিয়ে জেএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। এ জন্য তারা একটু বেশি ভাল করেছে। |
মীনার প্রমো মিউজিকটি বাজতে যা দেরি, টেলিভিশনের কাছে পৌঁছাতে একটুও দেরি হয় না ছোট্ট বন্ধুদের। মীনা কার্টুন চরিত্রটি বাংলাদেশের প্রায় সব বয়সের শিশুর কাছেই সমান জনপ্রিয়। তারা মীনাকে গ্রহণ করেছে তাদের বয়সী একজন কাছের বন্ধু হিসেবেই। শিশুরা মীনার অনুকরণে কথা বলতে চায়। তাদের ভাবনাতেও মীনার প্রভাবকে অস্বীকার করার উপায় নেই।এ তো গেল শিশুদের কথা। কিন্তু বড়দের বেলায়! তাঁরাও কি মীনা কার্টুন দেখে প্রভাবিত হন? মীনার কথাগুলো কি নিজেদের জীবনের সঙ্গে মিলিয়ে দেখেন? মীনাকে নিয়ে বড়দের ভাবনার জগৎটা ঠিক কতটুকু, এসব জানতে কথা বলেছি কয়েকজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের সঙ্গে। ফারজানা ইসলাম কাজ করছেন একটি বেসরকারি সংস্থায়। তিনি বলেন, ‘আসলে মীনাই আমাকে শিখিয়েছে যে নারী-পুরুষের সমান অধিকার পাওয়া উচিত। আমার পরিবারে বাবা-মা আমাকে আর ছোট ভাইকে সমান সুবিধা দিত না। প্রায়ই দেখতাম ছোট ভাইকে খাবারটা একটু বেশি দিচ্ছে। অনুযোগ করলেই বলত, ছেলেরা একটু বেশিই খায়। ওদের কথার প্রতিবাদ করা শুরু করলাম মীনা কার্টুন দেখার পর থেকেই।’আম্বিয়া আক্তার একজন গৃহিণী। বলেন, ‘আমি খুব বেশি পড়ালেখা করতে পারিনি। ভেবেছি, মেয়েদের তো এমনই হয়। কিন্তু মীনার মাধ্যমে আমি জানতে পারলাম যে মেয়েদের পড়ালেখা করা কতটা জরুরি।’গৃহিণী নাজনীন রহমান বলেন একটু ভিন্ন কথা। তিনি বলেন, ‘আমার মা জোহরা বেগম তাঁর দুই ছেলের বিয়েতে যৌতুক নিয়েছেন। তখনো টিভিতে মীনা দেখাতে শুরু করেনি। তারপর যেই তিনি মীনা দেখতে শুরু করলেন, তাঁর চরিত্রে মেয়েদের প্রতি আলাদাভাবে একটা সহানুভূতি কাজ করতে লাগল। তারপর যখন তাঁর ছোট ছেলের বিয়ে দিলেন, তখনই আমরা বুঝতে পারলাম তিনি মীনার দ্বারা কতটা প্রভাবিত। আম্মা আমার ছোট ভাইয়ের বিয়েতে যৌতুক নেননি।’রঞ্জনা বিশ্বাস একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করেন। তাঁর জীবনে মীনার প্রভাব অন্য রকম। তিনি বলেন, ‘আমি নবম শ্রেণী থেকে মীনা দেখতে শুরু করি। এত বড় হয়ে দেখেছি। কিন্তু আমার কখনো মনে হয়নি, এটা শুধু ছোটদের বিষয়। বরং মনে হয়েছে, শিশু বয়স থেকেই এই বিষয়গুলো সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করা উচিত। আর আমি তো দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে গিয়ে কাজ করি। সেখানে অনেক মানুষের সঙ্গে কথা বলতে হয়। সেসব অঞ্চলে হয়তো জনগণ শুধু বিটিভিই দেখে। তখন আমি মীনা কার্টুনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাদের সঙ্গে কথা বলি।’গৃহিণী শায়লা রহমান বলেন, ‘আমার এক মেয়ে। কিন্তু মীনা কার্টুন দেখার পর আমার মনে হয়েছে, আমার যদি ছেলেসন্তানও হয়, তবু আমি তাকে আলাদা চোখে দেখব না।’চাকরিজীবী মাহমুদুর রহমান একটু সমালোচনার সুরে বলেন, ‘মীনা যৌতুক নিয়ে কথা বলছে, বাল্যবিবাহ নিয়ে কথা বলছে, স্বাস্থ্য সমস্যা নিয়ে কথা বলছে। এটা স্বাভাবিক মনে হয়। কিন্তু যখন মীনা বড়দের বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলে, বেশ অস্বস্তি লাগে নিজের কাছেই। কর্তৃপক্ষের এই বিষয়ে একটু নজর দেওয়া উচিত।’মীনার বিষয়ে কথা হয় নারী আন্দোলনের কর্মী লুনা নূরের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘ছোট্ট একটা মেয়েচরিত্রের মাধ্যমে যে বার্তা জনগণকে দেওয়া হচ্ছে, তা সত্যি সবাইকে প্রভাবিত করেছে। মীনার মধ্যে যে দৃঢ়তা, সেটা মেয়েদের অনেক বেশি উৎসাহী করে। তবে যেটা মানুষ অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে শেখে, সে ধরনের বক্তব্য মীনার মুখ দিয়ে না বলানোই ভালো। আমি নিজে মীনা দেখেছি। তাই আমি চাই, আমার সন্তানেরাও মীনার কাছ থেকে কিছু শিখুক। প্রতিবছর মীনা দিবসে যেসব অনুষ্ঠান হয়, আমি ওদের সেসব অনুষ্ঠানে নিয়ে যাই।’ব্যাংককের এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির জেন্ডার ও ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের গবেষক সোমা দে বলেন মীনাকে নিয়ে তাঁর ভিন্ন এক অভিজ্ঞতার কথা। তাঁর মেয়ে সুকন্যা প্রাচীর একজন সহপাঠী আদিবাসী শিশু। কিন্তু সেই শিশুর সঙ্গে সহজে কেউ মিশত না। অনেকে তাকে উপহাস করত। সুকন্যাও খুব একটা উৎসাহ দেখাত না ওর প্রতি। সোমা দে বলেন, ‘আদিবাসী শিশু নিয়ে মীনার কমিক বই নতুন বন্ধু পিনুই বইটি আমি আমার মেয়েকে পড়াই। ওকে আদিবাসীদের সম্পর্কে বুঝিয়ে বলি। তারপর ও বুঝতে পারল। সেই মেয়ের সঙ্গে আমার মেয়েই প্রথম বন্ধুত্ব করে। তারপর অন্যদেরও বলতে শুরু করে। এখন ওর ক্লাসের প্রায় সবাই আদিবাসী মেয়েটির সঙ্গে বন্ধুত্ব করেছে। আমার তো মনে হয়, মীনা এমন একটা চরিত্র, যেটা খুব সহজেই এই অঞ্চলের মানুষকে প্রভাবিত করতে পারে।’সোনালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে কর্মরত রশিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমি মীনার প্রায় সব পর্বই দেখেছি। এটা সবার জন্যই শিক্ষণীয়। আমার মধ্যেও অনেক ভুল চিন্তা ছিল, যেগুলো দূর হয়ে গেছে মীনার কার্টুন দেখার পর। আমি চাই, আমার মেয়েটা যেন মীনার মতো সাহসী হয়। মেয়েটা সমাজের জন্য কিছু করুক, এটাই আমার প্রত্যাশা। এ জন্য ওকে বিভিন্ন সামাজিক কাজেও যুক্ত করার চেষ্টা করি।’২৬ অক্টোবর সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়ার মধ্যে ৩৭ মিনিট ধরে টেলিফোনে যে কথোপকথন হয়েছে, তার সম্পূর্ণ অডিও রেকর্ড সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। কোন সূত্র থেকে কী উদ্দেশ্যে তা জনসমক্ষে ছড়িয়ে দেওয়া হলো, তা পরিষ্কার নয়। এই কথোপকথন যদিও গোপনীয় কোনো বিষয় নয়, তবু তার সম্পূর্ণ অডিও রেকর্ড জনসমক্ষে প্রকাশের ব্যাপারে—যদি তা সরকারের কোনো সংস্থার পক্ষ থেকে করা হয়ে থাকে—সরকারের আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা থাকা উচিত ছিল। নতুবা ঘটনাটিকে দুই নেতার টেলিফোনে আড়ি পাতা হিসেবে গণ্য করতে হয়, যা আইনসম্মত নয়।তবে যেভাবেই প্রকাশিত হয়ে থাক না কেন, দেশের দুই প্রধান নেতার টেলিফোন কথোপকথনটি আদ্যোপান্ত শোনার অভিজ্ঞতা এককথায় হতাশাব্যঞ্জক। পালাক্রমে একাধিকবার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করে আসছেন, সুদীর্ঘকাল ধরে দেশের দুটি প্রধান দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন—এমন দুই শীর্ষ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের মধ্যে সেদিন টেলিফোনে যা হয়েছে, সেটাকে আদতে সংলাপ বা কথোপকথন বলা কঠিন, বরং সহজ ভাষায় তা ছিল এমন এক ঝগড়া, যাতে প্রতিফলিত হয়েছে এ দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতির লজ্জাকর হীন দশা, যা যারপরনাই দুর্ভাগ্যজনক।তার চেয়ে বেশি উদ্বেগের বিষয়, টেলিফোনে পরস্পর বাগিবতণ্ডার মধ্য দিয়ে দুই বিবদমান পক্ষের অনড়তা, একগুঁয়েমি ও বৈরিতা আরও বেশি মাত্রায় স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। প্রধানমন্ত্রী বিরোধী জোটের টানা তিন দিনের হরতাল প্রত্যাহার করে ২৮ অক্টোবর বিরোধীদলীয় নেতাকে গণভবনে ‘খাওয়ার দাওয়াত’ দিলে বিরোধীদলীয় নেতা যে ভাষায় ও সুরে তা প্রত্যাখ্যান করেছেন, তাতে বাঙালি সমাজে দাওয়াত গ্রহণে অপারগতা প্রকাশের প্রচলিত সৌজন্যের ঘাটতি ছিল। তবে ২৯ অক্টোবর হরতাল শেষ হওয়ার পরে যেকোনো সময় তাঁর দাওয়াত গ্রহণের আগ্রহ প্রকাশ যদি আন্তরিক হয়ে থাকে, তাহলে সেটাকেই আমাদের অবশিষ্ট আশার দিক হিসেবে দেখা উচিত।একইভাবে সরকারপক্ষেরও একান্ত উচিত, আলোচনার মাধ্যমে নির্বাচনকালীন সরকারপদ্ধতির বিষয়ে একটা সমঝোতায় পৌঁছতে তারা যে আন্তরিক, তা প্রমাণ করা। বিরোধী দলের পক্ষ থেকে এমন অভিযোগ একাধিকবার উচ্চারিত হয়েছে যে সরকার সংলাপের ব্যাপারে আন্তরিক নয়, একতরফা নির্বাচন অনুষ্ঠানই তাদের চূড়ান্ত লক্ষ্য। এসব অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণ করতে হলে সরকারকে এমন কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে, যাতে বিএনপিসহ সব দলকে নিয়ে নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে সংলাপে বসানোর ব্যাপারে সরকারের আন্তরিকতা দৃশ্যমান হয়ে ওঠে। বিরোধী দলের রাজনৈতিক কর্মসূচি মোকাবিলা করতে গিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর বাড়াবাড়ি বলপ্রয়োগ, একই সময়ে ক্ষমতাসীন দল ও তার সহযোগী সংগঠনগুলোর পাল্টা কর্মসূচি দিয়ে সংঘাতময় পরিস্থিতি সৃষ্টি করা এবং বিরোধী দলের ভাষ্য অনুযায়ী হামলা, মামলা, পুলিশি হয়রানি ইত্যাদি বন্ধ করা উচিত। তবে বিরোধী দলেরও উচিত হরতাল ডেকে নাশকতা সৃষ্টি, মানুষের প্রাণ ও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি করা ইত্যাদি থেকে বের হয়ে সংলাপে এগিয়ে আসা।বিরোধী জোটের তিন দিনের হরতাল শেষ হয়েছে। এ পর্যন্ত যা কিছুই ঘটে থাকুক না কেন, উভয় পক্ষের মুখোমুখি বসে আলোচনা করে একটা সমাধানে পৌঁছার কোনো বিকল্প নেই।পরিবেশের ক্ষতিসাধনের দায়ে গতকাল বৃহস্পতিবার নরসিংদী সদর উপজেলার পাঁচদোনা চৈতাব এলাকার তালহা টেক্সটাইলকে ২০ লাখ টাকা জরিমানা করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর।তরল বর্জ্য শোধনাগার (ইটিপি) স্থাপন করা সত্ত্বেও সেটি বন্ধ রেখে কারখানার তরল বর্জ্য সরাসরি পাশের নদীতে ফেলে পরিবেশ দূষণ করায় এ জরিমানা করা হয়। ঢাকায় পরিবেশ অধিদপ্তরের সদর দপ্তরে গতকাল এই প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিকে তলব করে শুনানি শেষে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়। অধিদপ্তরের পরিচালক (মনিটরিং অ্যান্ড এনফোর্সমেন্ট) মো. আলমগীর গতকাল শুনানি গ্রহণ করেন।ইলেকশন ওয়ার্কিং গ্রুপ (ইডব্লিউজি) সীমিত পরিসরে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবে। পর্যবেক্ষণে তারা ভোটকেন্দ্রে ভোটারের উপস্থিতির হার এবং নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবে।গতকাল রোববার ইডব্লিউজির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। পরিস্থিতি যা-ই হোক না কেন, ইডব্লিউজি যেসব এলাকায় আগে থেকেই পর্যবেক্ষণ করে আসছে, সেখানে পর্যবেক্ষণ কাজ অব্যাহত রাখবে। এ ছাড়া নিরাপত্তা পরিস্থিতি অনুকূল থাকলে স্বল্পসংখ্যক আসনে পর্যবেক্ষক পাঠানো হবে। |
কুড়িগ্রাম রাজারহাট এমআই ডিগ্রি মহাবিদ্যালয়ে কমিটি গঠন নিয়ে গতকাল শনিবার সকালে ছাত্রদলের দুই পক্ষের সংঘর্ষে পাঁচ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। আহত ব্যক্তিরা হলেন খোকন (২২), মুরাদ (২০), বায়েজিদ (২৩), হাফিজুর রহমান (২০) ও কামরুল (২২)। খোকন, বায়েজিদ ও কামরুলকে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রাজারহাট থানার ওসি শামীম হাসান সরদার বলেন, এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। নিজস্ব প্রতিবেদক, কুড়িগ্রামহরতালের মতো রাজনৈতিক কর্মসূচি দেশে নতুন কিছু নয়। আমাদের দেশের রাজনৈতিক দলগুলো কারণে-অকারণে এই রাজনৈতিক হাতিয়ার ব্যবহার করে আসছে। এখানে জনদুর্ভোগ বা দেশের অর্থনৈতিক ক্ষয়ক্ষতি কিছুই বিবেচিত হয় না। আর এখন হরতাল মানেই সংঘাত-সহিংসতা, জানমালের ক্ষয়ক্ষতি ও জ্বালাও-পোড়াও। আগে হরতালের সময় হরতাল আহ্বানকারীরা কিছু দিক মেনে চলতেন, জরুরি কিছু দিক হরতালের আওতামুক্ত ছিল। এখন সম্ভবত হরতাল আহ্বানকারীরা কোনো কিছুই পরোয়া করছেন না। সভ্য সমাজের ন্যূনতম কিছু রীতিও মেনে চলা হচ্ছে না।প্রথম আলো পত্রিকার প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিরোধী দলের ডাকা ৬০ ঘণ্টা হরতাল কর্মসূচি চলাকালে বিভিন্ন সময় অ্যাম্বুলেন্স, সাংবাদিক ও সংবাদপত্র বহনকারী গাড়িও হামলার শিকার হয়েছে। এমনকি লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সও হরতাল পালনকারীদের হাত থেকে রেহাই পায়নি। সোমবার চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ থেকে লাশ নিয়ে ফেনীতে যাওয়ার পথে সীতাকুণ্ডে হামলার শিকার হয় একটি অ্যাম্বুলেন্স। এর আগে হরতালের প্রথম দিন রোববার একইভাবে অন্য একটি লাশবাসী অ্যাম্বুলেন্সে হামলা হয় পটিয়ায়। বগুড়ার বিভিন্ন স্থানে ভাঙচুরের শিকার হয়েছে অন্তত ১৫টি অ্যাম্বুলেন্স।একইভাবে হরতাল চলাকালে হামলার শিকার হয়েছেন সাংবাদিকেরা, ককটেল হামলা হয়েছে বিভিন্ন টিভি চ্যানেলের গাড়িতে ও ভাঙচুর হয়েছে সংবাদপত্র বহনকারী গাড়ি। সোমবার রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে হামলা ও ককটেল বিস্ফোরণে আহত হয়েছেন তিন সাংবাদিক। এর মধ্যে নাটোরে আহত আরটিভির চিত্রগ্রাহক শেখ তোফাজ্জেল হোসেনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ককটেল হামলায় আহত হওয়ার পরও কয়েকজন যুবক তাঁকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আহত করেছে বলে জানা গেছে। পেশাগত দায়িত্ব পালনকারী একজন সাংবাদিকের প্রতি এ ধরনের আচরণ সভ্য সমাজে অকল্পনীয়।আমাদের প্রশ্ন, এখন কি হরতালের আওতামুক্ত বলে কিছু নেই? যাঁরা হরতাল আহ্বান করেন, তাঁরা যদি অ্যাম্বুলেন্স, জনগণের চিকিৎসাসেবা বা সংবাদমাধ্যমকে হরতালের আওতার মধ্যে রাখেন, তবে তার একটি ঘোষণা দিচ্ছেন না কেন? যদি সেটা না করেন, তবে এ ধরনের হামলার দায় হরতাল আহ্বানকারী দল ও তাদের নেতৃত্বকে নিতে হবে।এনামুল হক ভূঞাফেনীর মহিপালের ব্যবসায়ী ও দাগনভূঞার অধিবাসী এনামুল হক ভূঞা (৫৩) গত বুধবার রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁর মরদেহ দাফন করা হয়েছে। নিজস্ব প্রতিবেদক, ফেনীনুরুল আফসার আলমপ্রথম আলোর চাঁদপুর প্রতিনিধি আলম পলাশ ও গীতিকার কবির বকুলের ছোট বোন খুরশিদা খানম বেলির স্বামী মো. নুরুল আফসার আলম (৫০) গত বুধবার সন্ধ্যায় যুক্তরাষ্ট্রে নিজ বাসভবনে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি স্ত্রী ও দুই ছেলে রেখে গেছেন। আজ শুক্রবার তাঁর মরদেহ যুক্তরাষ্ট্রেই দাফন করা হবে। চাঁদপুর প্রতিনিধি।আনোয়ারা বেগমবেসরকারি সংস্থা আশা ইন্টারন্যাশনালের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা মো. এনামুল হক এবং চ্যানেল ২৪-এর নির্বাহী পরিচালক হাসনাইন খুরশেদের শাশুড়ি আনোয়ারা বেগম (৮০) গত বুধবার দুপুর ১২টা ৪৫ মিনিটে ঢাকার শ্যামলীতে মৃত্যুবরণ করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি পাঁচ ছেলে, চার মেয়ে, নাতি-নাতনি ও অনেক গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার তাঁকে আজিমপুর কবরস্থানে দাফন করা হয়। বিজ্ঞপ্তি।রংপুরের বদরগঞ্জে গতকাল রোববার ১২৫ জন হতদরিদ্র মানুষের মধ্যে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। প্রথম আলো বন্ধুসভার সদস্যরা কম্বল বিতরণকাজে সহযোগিতা করেন।শীতার্ত মানুষের সাহায্যার্থে ঢাকার রোটারি ক্লাব মতিঝিল এসব কম্বল পাঠায়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বদরগঞ্জ লালদিঘী পীরপাল কলেজের প্রতিষ্ঠাতা মশিউর রহমান ও কলেজের অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম। বদরগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি। |
কপাল খারাপ হলে যা হয় আর কী! চুরি করার জন্য পল গ্যাসকোয়েনের ব্যাংক হিসাবকেই বেছে নিল হ্যাকাররা। দুই দিনেই বেচারার ৬০ হাজার ইউরো গায়েব। একসঙ্গে এত টাকা হারিয়ে সাবেক ইংলিশ ফুটবলার দিশেহারা। তারওপর দীর্ঘদিনের মদের নেশা। ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড দ্য সান-এর সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে গাজ্জা তালগোল পাকিয়ে ফেলছিলেন বারবার। একবার বললেন, হ্যাকারদের তিনি চেনেন। আবার বলছেন, কোনো ধারণাই নেই কারা চুরি করেছে। কখনো বলছেন, ৬০ হাজার ইউরো চুরি হয়েছে। পরক্ষণেই বলছেন, এত বেশি নয়। এমনি এমনি তো আর তাঁকে মদ ছাড়ার পরামর্শ দেননি চিকিৎসকেরা। এএফপি।ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলায় অজ্ঞাতনামা এক নবজাতকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা-বান্দুরা সড়কের হাড়ভাঙ্গা সেতুর নিচ থেকে ওই ছেলেশিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়। নবাবগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ইসতিয়াক রাসেল জানান, সকালে হাড়ভাঙ্গা সেতুর নিচে এক নবজাতকের লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় লোকজন পুলিশে খবর দেন। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মিটফোর্ড হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। এ ব্যাপারে থানায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।নবাবগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি১৮ দলীয় জোটের অবরোধের তৃতীয় দিনে গতকাল বৃহস্পতিবার সিলেটের বিয়ানীবাজারে পুলিশের সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর কর্মীদের সংঘর্ষে ওসিসহ পুলিশের কয়েকজন সদস্য আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় জামায়াতের ৩০-৪০ জন কর্মী আহত হন বলে দলটি দাবি করেছে।এ ছাড়া জামায়াত ও আওয়ামী লীগের কর্মী-সমর্থকেরা ছয়টি ব্যাংক ও কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পাল্টাপাল্টি ভাঙচুর চালিয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল, জামালপুরের সরিষাবাড়ী ও নেত্রকোনার পূর্বধলায় বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।ঢাকার বাইরে প্রথম আলোর প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর:বিয়ানীবাজার (সিলেট): পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বিএনপির নেতা-কর্মীরা পৌরশহরের নিউমার্কেট ও কলেজ রোড মোড়ে সকাল থেকে অবস্থান নেন। বেলা সাড়ে নয়টায় জামায়াত-শিবির মিছিল নিয়ে বিএনপির সঙ্গে যোগ দিতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়। এ সময় জামায়াতের কর্মীরা পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। জামায়াতের নেতা-কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ ৩০টি রাবার বুলেট ও কাঁদানো গ্যাসের শেল ছোড়ে। একপর্যায়ে পুলিশ পিছু হটে। জামায়াতের কর্মীরা পুলিশকে ধাওয়া করে থানার নিচ পর্যন্ত নিয়ে যান। এ সময় জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা পূবালী ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া, জনতা ব্যাংক, আইএফআইসি ব্যাংকের স্থানীয় শাখায় হামলা ও ভাঙচুর চালান।শিবির কর্মীরা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাছিব, যুবলীগ নেতা সাগর দাস ও পৌর আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক এবাদ আহমদেরটিসহ সাতটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও ভাঙচুর করেন। তাঁরা ছয়টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেন। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ পৌরশহরে প্রতিবাদ মিছিল বের করে। মিছিল থেকে সংগঠনের বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা ইসলামী ব্যাংক, জামায়াত পরিচালিত ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান রাকাম ও তামামের ফটক ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে।জামায়াত-শিবিরের ইট ও ককটেলের আঘাতে বিয়ানীবাজার থানার পরিদর্শক (তদন্ত) দেলোয়ার হোসেন, উপপরিদর্শক (এসআই) কামরুজ্জামান, ফজলুল হক, সিকান্দরসহ কয়েকজন পুলিশসদস্য আহত হয়েছেন। পুলিশের গুলিতে ছাত্রশিবির বিয়ানীবাজার উত্তর শাখার সভাপতি ফরিদ আহমদ ও জাকারিয়া হোসেনসহ ৩০-৪০ জন আহত হয়েছেন বলে দাবি করা হয়েছে। সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাসান আহমদ বেলা দেড়টার দিকে জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।সরাইল (ব্রাহ্মণবাড়িয়া): গতকাল ভোর থেকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সরাইলের বিশ্বরোড, কুট্টাপাড়া মোড় ও উপজেলা সদরে অবস্থান নেন উপজেলা বিএনপির নেতা-কর্মীরা। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ঐক্যজোটের নেতা-কর্মীরা। সকাল ১০টার দিকে কুট্টাপাড়া মোড়ে পুলিশের সামনে একাধিক অটোরিকশা ভাঙচুর করেন অবরোধকারীরা। অটোরিকশা থেকে চাঁদাবাজিও করা হয়। পত্রিকাবাহী দুটি গাড়ি থেকে বেশ কিছু পত্রিকা লুট করা হয়। দুপুর ১২টার দিকে বিশ্বরোড মোড়ে ১০-১২টি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। একপর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে অবরোধকারীদের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। মহাসড়কে দূরপাল্লার কোনো যানবাহন চলাচল করেনি। সরাইল-নাসিরনগর সড়কের স্থানীয় হাসপাতাল মোড়ে গাছের গুঁড়ি ফেলে সড়কে অবরোধ করেন অবরোধকারীরা।পূর্বধলা (নেত্রকোনা): নেত্রকোনা-পূর্বধলা সড়কের নারায়ণডহর বাজারের কাছে অবরোধকারীরা গতকাল ভোরে সরকারি গাছ কেটে সড়ক অবরোধ করে। এতে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। খবর পেয়ে পূর্বধলা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে গাছ সরালে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। পূর্বধলা থানার ওসি বসির আহমদ বলেন, ঘটনাস্থল থেকে গাছ জব্দ করা হয়েছে।সরিষাবাড়ী (জামালপুর): গতকাল দুপুরে পৌরসভার বাউসী সেতু এলাকায় দুটি অটোরিকশা ও একটি মোটরসাইকেল এবং মহাদানের খাগুড়িয়া কালীবাড়ি এলাকায় একটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেন বিএনপির সমর্থকেরা। সরিষাবাড়ী থানার ওসি এ কে এম কামরুল আহসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।জুড়ী (মৌলভীবাজার): পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অবরোধ চলাকালে গত বুধবার ভূঁয়াই বাজারে একটি ট্রাকে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় মামলা হয়েছে। গাড়ির মালিক বাদশা মিয়া বাদী হয়ে বুধবার রাত ১১টার দিকে বিএনপির উপজেলা কমিটির সদস্য আইনুল হক, যুবদলের উপজেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক মামুনুর রশীদ, শিবিরের উপজেলা পূর্ব কমিটির সভাপতি সাইফুল ইসলামসহ সাতজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ৭০-৮০ জনকে আসামি করে থানায় মামলাটি করেন।মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে জুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান গতকাল বিকেলে প্রথম আলোকে জানান, এজাহারভুক্ত আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। অভিযোগ অস্বীকার করে আইনুল হক ও মামুনুর রশীদ জানান, তাঁরা ঘটনার সময় উপজেলা সদরে ছিলেন।টানা অবরোধের পর গত কয়েক দিনের ঘন কুয়াশার কারণে মাওয়া-কাওড়াকান্দি নৌপথের কাওড়াকান্দি ফেরিঘাটে কয়েক শ ট্রাক পারাপারের অপেক্ষায় আটকে আছে। ভারী ও বড় বলে দিনের পর দিন ট্রাকগুলোকে অপেক্ষা করতে হচ্ছে। এ সময় ট্রাকচালকেরা চাঁদাবাজির শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।পটুয়াখালী থেকে আসা ট্রাকচালকের সহকারী হেলাল বলেন, ‘আমাগো বড় গাড়ির বড় সমস্যা। সহজেই পার হতে পারতাছি না। প্রায় ছয় দিন ধরে ঘাটে আইসা কোনো রকম না খাইয়া, না নাইয়া আটকে আছি। তার পরে আবার পুলিশ স্যারেরে টাকা দিয়ে সিরিয়াল ঠিক রাখতে হয়।’কুষ্টিয়া থেকে আসা ট্রাকচালক জসিম উদ্দিন বলেন, ‘টানা অবরোধের পর এখন আবার কুয়াশার কারণে রাতে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় আমরা ঘাটে আটকে আছি। যাত্রীবাহী গাড়ি আগে পার করা হচ্ছে বলে ট্রাকগুলো আটকে পড়ছে। শুধু অপেক্ষাই নয়, দিনের বেলা কোনো রকম কাটলেও রাতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগি। তার ওপরে আবার পুলিশ স্যারেগো চাঁদা দেওয়া লাগে।’কাওড়াকান্দি ঘাটসূত্র জানায়, টানা অবরোধের পর তিন দিনের ঘন কুয়াশার কারণে প্রায় ২৫ ঘণ্টা ফেরি চলাচল বন্ধ থাকে। ফলে কাওড়াকান্দি ঘাটে পাঁচ শতাধিক ট্রাক আটকে আছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছে ট্রাকচালকসহ সহস্রাধিক ট্রাকশ্রমিক। তাঁদের থাকার জায়গা ও পয়োনিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় প্রচণ্ড শীতের মধ্যে তাঁরা বিপাকে পড়েছেন। বাড়তি টাকা না থাকায় অনেকেই খাবারের কষ্টেও ভুগছেন। রাতে তাঁরা নিরাপত্তাহীনতায়ও ভুগছেন। এ ছাড়া ঘাট এলাকায় তাঁরা পুলিশের চাঁদাবাজির শিকার হচ্ছেন বলেও অভিযোগ পাওয়া যায়।এ ব্যাপারে বিআইডব্লিউটিএর কাওড়াকান্দি ঘাটের সহকারী ব্যবস্থাপক শাহনেওয়াজ চৌধুরী বলেন, ‘ঘন কুয়াশার কারণে প্রায় প্রতি রাতেই ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। আমরা সব সময়ই যাত্রীদের ভোগান্তি কমাতে যাত্রীবাহী গাড়ি ও কাঁচামালের ট্রাক আগে পার হওয়ার ব্যবস্থা করি। এ কারণে ঘাটে বেশ কিছু ট্রাক জমে আছে।’ তবে ট্রাকচালকেরা চাঁদাবাজির শিকার হচ্ছেন কি না, এ ব্যাপারে তিনি কিছু জানেন না বলে জানান।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ট্রাফিক পুলিশ বলেন, ‘রাতের বেলা আমরা ট্রাকগুলো পাহারা দিই। এর জন্য তাঁদের কাছ থেকে চাঁদা নিই না, কিছু বকশিশ নিই।’ কাওড়াকান্দি ঘাটের দায়িত্বে নিয়োজিত ট্রাফিক পরিদর্শক উত্তম কুমার শর্মা ট্রাকচালকদের কাছ থেকে চাঁদা আদায়ের কথা অস্বীকার করেন। |
বিদ্যালয় তহবিলের টাকা আত্মসাৎসহ অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে বরখাস্ত দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার বোয়ালদাড় দ্বিমুখী উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল বারী সরকারকে স্বপদে পুনর্বহাল করেছে নবনির্বাচিত পরিচালনা পর্ষদ।পরিচালনা পর্ষদের বিদায়ী সদস্যরা জানান, ২০১০ সালে আবদুল বারী সরকারকে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। এরপর তিনি বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন। ২০১২ সালের ২৩ জুলাই পরিচালনা পর্ষদের সভা দেখিয়ে সভাপতির স্বাক্ষর জাল করে তিনি স্কুলের নামে সোনালী ব্যাংক হাকিমপুর শাখার হিসাব থেকে ২৪ হাজার টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন। নিরীক্ষায় ধরা পড়ার পর পরিচালনা পর্ষদ তাঁর বিরুদ্ধে হাকিমপুর থানায় মামলা করে। তাঁর বিরুদ্ধে ভুয়া কার্যবিবরণী তৈরি, আয়-ব্যয়ের হিসাবে কারচুপিসহ আরও বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে।অনিয়ম-দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেওয়ার প্রতিবাদে পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা শিক্ষাসচিব, শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে গত ১৪ মার্চ লিখিত অভিযোগ করেন।পরিচালনা পর্ষদের সাবেক সভাপতি মো. শফিকুল ইসলাম জানান, ২০১০ সালের ৩১ জুলাই ও ৭ আগস্ট পরিচালনা পর্ষদের দুটি সভা হলেও আবদুল বারী কার্যবিবরণী খাতায় তারিখ ঘষামাজা করে ৩১ জুলাই তারিখের সভাটি ২১ জুলাই ও ৭ আগস্ট তারিখের সভাটি ২২ জুলাই তারিখে হয়েছে মর্মে দেখিয়েছেন।পর্ষদের সাবেক সদস্য মো. আলী খান বলেন, অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় পর্ষদ সভা আহ্বানের জন্য প্রধান শিক্ষককে বারবার নির্দেশ দিলেও তিনি তা করেননি। এ অবস্থায় ২০১২ সালের ২৫ জুলাই পর্ষদ তাঁকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিলেও তিনি জবাব দেননি। এরপর ওই বছরের ৫ আগস্ট তাঁকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়। এ ঘটনার তিন দিন পর গত ৯ আগস্ট নতুন পর্ষদ দায়িত্ব নেয়। ইলিয়াস আলী খান সভাপতি নির্বাচিত হন। সকাল ১০টায় নতুন কমিটি দায়িত্ব নিয়ে এক ঘণ্টা পর সভা করে আবদুল বারী সরকারকে পুনর্বহাল করে।অভিযোগ অস্বীকার করে আবদুল বারী সরকার মুঠোফোনে দাবি করেন, পরিচালনা পর্ষদ নয়, সাবেক সভাপতি ব্যক্তিগতভাবে তাঁকে বরখাস্ত করেছেন। অন্য অভিযোগগুলো সাজানো। ইলিয়াস আলী খানের দাবি, প্রধান শিক্ষককে স্বপদে ফিরিয়ে এনে তাঁরা কোনো ভুল করেননি।বিভিন্ন উদ্ভাবনের ফলে বিদ্যালয়ভিত্তিক শিক্ষাব্যবস্থায় আগামী কয়েক দশকে পরিবর্তন আসতে পারে।গতিবিধি ধারণচোখের গতিবিধি নজরে রাখবে এবং শিক্ষার্থীর মনোযোগের মাত্রার সঙ্গে মিল রেখে পাঠের গতির সমন্বয় করবে।ডিজিটাল কলমকম্পিউটারের সঙ্গে যুক্ত থাকে এবং আসল সময়ে লিখিত তথ্য মনে রাখবে।সার্বক্ষণিক তথ্য-যোগাযোগবিদ্যালয়ের বাইরে কোথাও ভ্রমণরত শিক্ষার্থীরা প্রাসঙ্গিক বিভিন্ন তথ্য ট্যাবলেট কম্পিউটারের মাধ্যমে আদান-প্রদান করতে পারবে।ভার্চুয়াল বাস্তবতাছাত্রছাত্রীরা বাস্তব জগতে যা কিছু দেখে ও বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জন করে তার একটি ভার্চুয়াল স্তর তৈরি হবে।শিক্ষকহয়তো তখনো শ্রেণীকক্ষে নেতৃত্ব দেবেন শিক্ষক। কিন্তু ছাত্রছাত্রীরা বিভিন্ন ভার্চুয়াল যন্ত্রপাতি বা উপকরণের সাহায্যেও শিখতে পারবে।বিশেষ স্পর্শানুভূতিসম্পন্ন ডেস্কে লেখা দৃশ্যমান হবে।সূত্র: এএফপি।চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ছলিমপুর ইউনিয়নের কাজীপাড়া এলাকায় ওই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী গোলাম মহিউদ্দীনের বাড়িসহ তিনটি বাড়িতে সশস্ত্র হামলা হয়েছে। এ সময় নারীসহ ১১ জন গুলিবিদ্ধ হন। গত বুধবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।বিএনপি-জামায়াত-শিবিরের সশস্ত্র নেতা-কর্মীরা এ হামলা চালান বলে অভিযোগ উঠেছে। গুলিবিদ্ধরা হলেন: মো. ইছহাক, মোক্তার হোসেন, ফরিদা বেগম, ইকবাল হোসেন, মিনহাজ উদ্দীন, মো. আরমান, মো. তুষাত, মো. শওকত, রোজি আক্তার, মো. তামিম ও শামছুন নাহার। এর মধ্যে চারজন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অন্যরা চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঘটনার শিকার কয়েকজন অভিযোগ করেন, রাত তিনটার দিকে গোলাম মহিউদ্দীনের বাড়িতে হামলা চালান বিএনপি-জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা। তাঁরা মহিউদ্দীনের ঘরসহ তিনটি ঘর ভাঙচুর করেন এবং একটি দোকানে লুটপাট চালান। তাঁদের ছোড়া ছররা গুলিতে ১১ জন গুলিবিদ্ধ হন। এ সময় গোলাম মহিউদ্দীন নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে সক্ষম হন। স্থানীয় লোকজন গুলিবিদ্ধ ব্যক্তিদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ নগরের বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে যান।সীতাকুণ্ড থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘যতটুকু জেনেছি, জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা আওয়ামী লীগ নেতার বাড়িতে হামলা চালিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে।’চট্টগ্রাম মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) জহিরুল ইসলাম নয়জন গুলিবিদ্ধ হওয়ার তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেন।বিষয়টি জানতে বেশ কয়েকবার ছলিমপুর ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক রোকন উদ্দীন এবং ওই ইউনিয়নের জামায়াতের আমির আনোয়ার সিদ্দিকের মুঠোফোনে যোগাযোগ চেষ্টা করা হলে তাঁদের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।ছলিমপুর ইউনিয়ন শিবিরের সভাপতি মো. শওকত হামলার বিষয়টি স্বীকার করে মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘বেশ কয়েক দিন ধরে আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগের কর্মীরা আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছেন। গত রাতে দুই পক্ষের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার একপর্যায়ে বিএনপির কর্মীরা আমাদের কর্মীদের সঙ্গে একত্র হয়ে হামলা করতে পারে।’২১ নভেম্বর সীতাকুণ্ডের বাড়বকুণ্ড ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং ওই ইউপির চেয়ারম্যান ছাদাকাত উল্লাহ মিয়াজির বাড়িতে আগুন দেন জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা।রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলায় নবাবপুর ইউনিয়নে গতকাল রোববার আল হেলাল (২৭) নামে এক স্বাস্থ্য সহকারীকে দুর্বৃত্তরা মারধর করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পরিবারের দাবি, হেলাল গতকাল সকালে ক্লিনিকে যাওয়ার সময় একই গ্রামের আকবার মহুরির ছেলে কামরুজ্জামান ও খলিলের ছেলে সবুজ মারধর করে ৩৯ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেন। স্থানীয় ব্যক্তিরা তাঁকে উদ্ধার করে বালিয়াকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। এদিকে বালিয়াকান্দি থানার ওসি আবু শামা ইকবাল হায়াত, দুই বন্ধুর মধ্যে বিরোধের জের ধরে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। তবে টাকা নেওয়ার ঘটনা সত্য নয়। রাজবাড়ী প্রতিনিধি। |
ক্লাব ফুটবলে বেশ সফল মোনাকো, কিন্তু দেশ হিসেবে? ফিফা দূরের কথা, খুদে দেশটি সদস্য হয়নি উয়েফারও।১৮-দলীয় জোটের ডাকা টানা ৬০ ঘণ্টার হরতালের শেষ দিন গতকাল মঙ্গলবার সকালে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের আটজন নেতা-কর্মী আহত হন।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল নয়টার দিকে রাজবাড়ী জেলা বিএনপির সভাপতি আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়মের পক্ষের নেতা উপজেলা বিএনপির একাংশের সভাপতি গোলাম মোস্তফা ও সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন শেখের নেতৃত্বে স্থানীয় বাজার থেকে একটি মিছিল বের হয়।মিছিলটি মহাসড়ক হয়ে উপজেলা মাঠ চত্বরের দিকে যাওয়ার সময় উপজেলা পরিষদ চত্বরের সামনে জেলা বিএনপির সহসভাপতি আসলাম মিয়ার পক্ষের নেতা ও উপজেলা বিএনপির অন্য অংশের সভাপতি মুঞ্জুর আহমেদের নেতৃত্বে বের হওয়া মিছিলের মুখোমুখি হয়। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। সংঘর্ষের সময় লাঠি ও ইটের আঘাতে উভয়পক্ষের আটজন আহত হন।আজ ২৯ নভেম্বর। এই তারিখে জন্মগ্রহণ করায় পাশ্চাত্যমতে আপনি ধনু রাশির জাতক বা জাতিকা। আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ সংখ্যা ২ ও ৩। গুরুত্বপূর্ণ দিন সোম ও বৃহস্পতিবার। শুভ রং—জলপাই সবুজ, হালকা নীল, মেরুন। শুভ রত্ন—অ্যাকুয়ামেরিন, গোমেদ। বিশিষ্ট ব্যক্তিত—চীনা সম্রাজ্ঞী তুজুশি, দীলিপ সোম, জ্যোতির্বিদ ক্রিশ্চিয়ান ডপলার। এবার চলুন জেনে নেওয়া যাক আপনার রাশিতে আজকের পূর্বাভাস:মেষ (২১ মার্চ-২০ এপ্রিল)শিক্ষার্থীদের কারও কারও বিদেশে অধ্যয়নের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত হতে পারে। পারিবারিক দ্বন্দ্বের অবসান হবে। পাওনা আদায়ে প্রভাবশালী কারও সহযোগিতা পেতে পারেন। প্রেমের ক্ষেত্রে ইতিবাচক সাড়া পাবেন।বৃষ (২১ এপ্রিল-২১ মে)কর্মস্থলে প্রতিপক্ষের বিরোধিতা সত্ত্বেও গুরুত্বপূর্ণ কাজে সাফল্য অর্জিত হবে। শিক্ষা কিংবা গবেষণার জন্য সম্মাননা পেতে পারেন। কোনো গোপন শত্রুর পরিচয় জানা যেতে পারে। প্রেমের ব্যাপারে ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিন।মিথুন (২২ মে-২১ জুন)ব্যবসায়িক চুক্তি সম্পাদনের আগে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যাচাই করে নিন। পাওনা আদায়ে বল প্রয়োগ নয়, বরং কৌশলের আশ্রয় নিন। প্রেমের ঝোড়ো হাওয়া আজ কারও কারও মনকে নাড়া দিয়ে যেতে পারে।কর্কট (২২ জুন-২২ জুলাই)শিল্পকলায় অবদানের জন্য সম্মাননা পেতে পারেন। পারিবারিক দ্বন্দ্বের অবসান হবে। ব্যবসায়ে আগের ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার সুযোগ পাবেন। প্রেমের ব্যাপারে আজ কেউ আপনার মনের দরজায় কড়া নাড়তে পারে।সিংহ (২৩ জুলাই-২৩ আগস্ট)শিল্পকলা কিংবা সমাজকল্যাণমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য প্রশংসিত হতে পারেন। যৌথ কাজে সাফল্যের দেখা পাবেন। ফেসবুকে কারও সঙ্গে মতবিনিময়ের মধ্য দিয়ে প্রেমের শুভ সূচনা হতে পারে। রাজনৈতিক তৎপরতা শুভ।কন্যা (২৪ আগস্ট-২৩ সেপ্টেম্বর)ব্যবসায়ে নতুন বিনিয়োগ আশার সঞ্চার করবে। কর্মস্থলে আজ আপনার কাজের যথাযথ মূল্যায়ন হবে। পরিবারের কোনো সদস্য আপনার বিরুদ্ধাচরণ করতে পারে। প্রেমে সাফল্যের সম্ভাবনা আছে।তুলা (২৪ সেপ্টেম্বর-২৩ অক্টোবর)বৈদেশিক যোগাযোগ শুভ। জনসংযোগ ও প্রচারের কাজে সাফল্যের দেখা পাবেন। পাওনা আদায়ে প্রভাবশালী কারও সহযোগিতা পেতে পারেন। আজ কারও প্রেমের আহ্বানে সাড়া দিতে হতে পারে। স্বাস্থ্য ভালো যাবে।বৃশ্চিক (২৪ অক্টোবর-২২ নভেম্বর)কর্মস্থলে বসদের কেউ কেউ আপনার কাজের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হবে। কোনো গোপন শত্রুর পরিচয় জানা যেতে পারে। ফেসবুকে কারও ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য থেকে প্রেমের শুভ সূচনা হতে পারে। দূরের যাত্রা শুভ।ধনু (২৩ নভেম্বর-২১ ডিসেম্বর)শিক্ষা কিংবা গবেষণার জন্য সম্মাননা পেতে পারেন। যৌথ বিনিয়োগ শুভ। বেকারদের কেউ কেউ ঝুঁকিপূর্ণ বিদেশ যাত্রায় সফল হবেন। প্রেমের ব্যাপারে কেউ আপনার মনের দরজায় আজ কড়া নাড়তে পারে।মকর (২২ ডিসেম্বর-২০ জানুয়ারি)কর্মস্থলে সার্বিক পরিস্থিতি আপনার অনুকূলে থাকবে। পাওনা আদায় হবে। বিদেশ যাত্রায় প্রবাসী আত্মীয়ের সহায়তা পেতে পারেন। যাবতীয় কেনাকাটায় লাভবান হবেন। প্রেমে সাফল্যের দেখা পাবেন।কুম্ভ (২১ জানুয়ারি-১৮ ফেব্রুয়ারি)ব্যবসায়ে আগের ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার সুযোগ পাবেন। পাওনা আদায়ে অন্যের সহযোগিতা পাবেন। সৃজনশীল কাজের স্বীকৃতি পাবেন। ব্যর্থ প্রেমের সম্পর্কে নতুন সম্ভাবনা উঁকি দিচ্ছে। দূরের যাত্রা শুভ।মীন (১৯ ফেব্রুয়ারি-২০ মার্চ)দিনটি শুরু হতে পারে প্রিয়জনের কোনো সুসংবাদ দিয়ে। নতুন ব্যবসায়ে হাত দেওয়ার জন্য দিনটি শুভ। জনসংযোগ ও প্রচারের কাজে সাফল্যের দেখা পাবেন। ভেঙে যাওয়া প্রেমের সম্পর্ক জোড়া লাগতে পারে।বক্সিংয়ে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ বেশ উজ্জ্বল। আমাদের পুলিশ সদস্যরা ভালো ঘুষি মারতে পারেন, পারেন শিক্ষকেরাও। এবার তাঁদের দলে যোগ দিয়েছেন নেতারা। বিখ্যাত বক্সার মোহম্মদ আলী যা সারা জীবনেও পারেননি, এবার তা-ই করে দেখালেন ফরিদপুরের আওয়ামী লীগের নেতা আকতাবউদ্দিন। নেতাদের চামচারা সব সময়ই বলে, ‘অমুক ভাইয়ের হাতকে শক্তিশালী করুন’। আকতাবউদ্দিনের হাত এতই শক্তিশালী হয়েছে যে তার ঘুষিতে মারাই গেছেন ইমরুল নামের এক গুড় ব্যবসায়ী। আকতাবউদ্দিনকে অলিম্পিকে পাঠালে নিশ্চিত স্বর্ণ জিতত বাংলাদেশ। তার বিপক্ষে রিংয়ে লড়ার সাহসই পেত না কেউ! কিন্তু তাঁকে জীবিকার তাগিদে অজপাড়াগাঁয়ে বসে রাজনীতি করতে হচ্ছে! আসলে বাংলাদেশে মুরগির ডিমের দাম আছে, প্রতিভার দাম নেই।গোওওওওওল!শেখ হাসিনা, প্রধানমন্ত্রীক্যারিকেচার: মেহেদী হক |
দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে এক পক্ষের লোকজন আরেক পক্ষের লোকজনের ওপর হামলা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে উপজেলা ছাত্রলীগের ছয়জন কর্মী আহত হন।গতকাল শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ফুলবাড়ী সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের কমিটি গঠন করার সময় কলেজ চত্বরে এ ঘটনা ঘটে।বেলা একটার দিকে হামলার ঘটনায় দোষী ব্যক্তিদের বহিষ্কার ও শাস্তির দাবিতে ছাত্রলীগের একটি অংশ স্থানীয় বাসস্ট্যান্ড এলাকার বটতলী মোড়ে ফুলবাড়ী-দিনাজপুর-গোবিন্দগঞ্জ সড়ক আধা ঘণ্টা অবরোধ করে রাখে। স্থানীয় সাংসদ ও ভূমি প্রতিমন্ত্রী মো. মোস্তাফিজুর রহমান বিষয়টির সুরাহা করবেন—উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হায়দার আলী শাহর এমন আশ্বাসের ভিত্তিতে পরে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়।জানা গেছে, আজ রোববার ফুলবাড়ী উপজেলা ছাত্রলীগের ত্রিবার্ষিক কাউন্সিল হওয়ার কথা। এতে উপস্থিত থাকবেন ভূমি প্রতিমন্ত্রী মো. মোস্তাফিজুর রহমান। এ সময় উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি গঠন করা হবে। এ উপলক্ষে কয়েক দিন ধরে ছাত্রলীগের ইউনিয়ন, ওয়ার্ড ও কলেজ শাখা কমিটি গঠনের কাজ চলছিল। ভূমি প্রতিমন্ত্রীর ভাগনে মহীউদ্দীন কাদের নিজে উপস্থিত থেকে এসব কমিটি গঠনের কাজ চালাচ্ছিলেন।উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মিঠুন চৌধুরী এবং যুবলীগের ২ নম্বর ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি কাজল দাস অভিযোগ করেন, মহীউদ্দীন তাঁর ইচ্ছামতো কমিটি গঠন করতে চান। কাউন্সিলের আগেই তিনি তাঁর পছন্দের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছেন। এসব কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করায় মহীউদ্দীনের নেতৃত্বে ৫০-৬০ জনের একটি দল লাঠি, রড ও গাছের ডাল নিয়ে হামলা চালিয়ে তাঁদের মারধর করে।এ ব্যাপারে মহীউদ্দীন কাদের বলেন, ‘কারও চাওয়া-পাওয়ার ওপর নেতৃত্ব নির্ভর করে না। মন্ত্রী মহোদয় (ভূমি প্রতিমন্ত্রী) যাঁকে মনোনীত করবেন, তিনিই নেতৃত্ব পাবেন। তবে আগামী দিনে দলের অবস্থান সুদৃঢ় হোক—এটা যাঁরা চান না, তাঁরাই অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটিয়েছেন।’ফুলবাড়ী থানার ওসি রবিউল ইসলাম খান গতকাল রাতে প্রথম আলোকে বলেন, এ ঘটনায় এখনো কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি।কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় গত সোমবার আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে সংঘর্ষে পৌর মেয়র, সাংবাদিকসহ উভয় পক্ষের ১০ জন আহত হয়েছেন। হরতাল-সমর্থকেরা সাংবাদিকদের মোটরসাইকেল, ক্যামেরাসহ বাসস্ট্যান্ডে থেমে থাকা প্রায় ২০টি গাড়ি ভাঙচুর করেছেন।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুর ১২টার দিকে উপজেলা বিএনপির কয়েক শ নেতা-কর্মী কাজীর মোড়ে দলীয় কার্যালয়ের সামনে পিকেটিং করছিলেন। এ সময় আওয়ামী লীগের একটি হরতালবিরোধী মিছিল ওই কার্যালয়ের সামনে দিয়ে গিয়ে বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পৌঁছালে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া শুরু হয়।বিএনপির নেতা-কর্মীদের ছোড়া ইটের আঘাতে কুমারখালী পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামসুজ্জামান অরুণ আহত হন। এ সময় বিএনপির নেতা-কর্মীরা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় গাড়ি ভাঙচুর করেন।যশোরের কেশবপুরের একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি ও গণজাগরণ মঞ্চের আহ্বায়ক আবু বক্কর সিদ্দিকীর ওপর গতকাল বৃহস্পতিবার হামলা হয়েছে। জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা এই হামলা করেছে বলে তিনি অভিযোগ করেছেন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।জানা গেছে, গতকাল সকালে তিনি কেশবপুর থেকে যশোরের উদ্দেশে রওনা হন। পথিমধ্যে মনিরামপুরের চিনাটোলায় রাস্তা অবরোধকারী জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা তাঁর ওপর লাঠি দিয়ে হামলা চালান।আবু বক্কর সিদ্দিকী অভিযোগ করেন, জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা তাঁকে ‘নাস্তিক’ বলে লাঠি দিয়ে মাথায়, হাতে-পায়ে ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করেন। সঙ্গে থাকা আইনজীবীরা তাঁকে কোনো রকমে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী সাংবাদিকদের রক্ত পরীক্ষা করা দরকার বলে কটূক্তি করলে তিনি যশোরের আদালতে সাঈদীর নামে ২০০১ সালে মামলা করেন। মনিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মীর রেজাউল হোসেন রেজা জানিয়েছেন, এ ঘটনায় মামলা হলে অপরাধীদের গ্রেপ্তার করা হবে।পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে গতকাল রোববার এক গৃহবধূ ও আরেক স্কুলছাত্রীর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। গতকাল দুপুরের দিকে উপজেলার সবুজনগর গ্রামের আলতাফ হোসেনের মেয়ে রাজিয়া আক্তার (১৬) এবং ছোটহারজী গ্রামের আবু জাফরের স্ত্রী জুলেখা বিবি কীটনাশক পানে মারা যান।মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) প্রতিনিধি |
বন্যার সময় বৃষ্টি বেশি হইলে খাল-বিল বা পুকুরের পানিতে আমরা একটা কঞ্চি পুঁইতা রাখি, এইট্যা দিয়া বুঝতে পারি, বন্যা কতখানি হইল। এইট্যা আমি আমার বাবার কাছ থেইক্যা শিখছি—এই সংলাপটা আমার পুরো মুখস্থ। আসলে যখন যে পর্বের কাজ করি, তখন সেটার সংলাপ মুখস্থ হয়ে যায়। পরে অতটা মনে থাকে না। কিন্তু এটা বেশ মনে আছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ নিয়ে মীনা কার্টুনের যে পর্বটা হয়েছিল, এটা তারই অংশ।’ এক নিঃশ্বাসে এতগুলো কথা বলে খানিকটা দম নিলেন প্রমিতা গাঙ্গুলি। তারপর মীনার কণ্ঠ অনুকরণ করে বললেন, ‘কী, বুঝলেন...?’ অনুকরণ করতে তাঁর বিশেষ কোনো কসরত করতে হয় না। কারণ, মীনা কার্টুনে মীনা চরিত্রে কণ্ঠ দেন স্বয়ং প্রমিতাই। সে কথাই জানালেন তিনি। ‘তখন সপ্তম শ্রেণীতে পড়ি আমি। ২০০৫ সাল। মীনার কণ্ঠের জন্য অডিশন দিলাম। ভাবতে পারিনি, আমাকেই নির্বাচন করবে। খুব ভালো লেগেছিল আমার প্রিয় একটা চরিত্রে কণ্ঠ দিতে পারব ভেবে।’সেদিনের ছোট্ট প্রমিতা আজ অনেক বড়। পড়ছেন ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে প্রকৌশল বিভাগে দ্বিতীয় বর্ষে। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, এটা অন্য আর দশটা কাজের মতো নয়। এর মাধ্যমে আমি জনগণকে অনেক পরামর্শ দিতে পারছি। আমার মুখের কথাগুলো অনেকেই অনুসরণ করছে। মেয়েদের উন্নতির জন্য কাজ করছি। এটাই তো আমার কাজের অনেক বড় স্বীকৃতি।’জিজ্ঞেস করলাম, আপনি মীনার চরিত্রে কণ্ঠ দেন, এতে আপনার বন্ধুদের অনুভূতি কেমন?আমার বন্ধুরা তো প্রথমে বিশ্বাসই করত না। তখন তাদের কার্টুনের শেষে যে নামের তালিকাটা দেখায়, সেখানে দেখালাম, ভয়েস অব মীনা—প্রমিতা গাঙ্গুলি। তারপর বিশ্বাস করল। তারপর তো অনেকে আমাকে মীনা বলেই ডাকত।’ গল্প শোনাচ্ছেন এমন ভঙ্গিতে বললেন, ‘একটা ঘটনা বলি! গুগলে আমার নাম লিখে অনুসন্ধান করলে মীনার একটা রিপোর্ট আসে। সেখানে আমার নামটা শুরুতেই আসে। ওরা বলে, এই এখানেও তোর নাম! সত্যিই, তোর নাম তো! আমার বেশ মজাই লাগে। প্রায়ই যেটা আমার করতে হয়, সেটা হচ্ছে মীনার কণ্ঠ শোনানো। কথা নেই বার্তা নেই, একজন আবদার করে বসল, “এই, মীনার ভয়েসটা করে এই কথাটা শোনাও তো!” অগত্যা করতেই হয়।’ প্রমিতা গাঙ্গুলি মীনা কার্টুনের মাধ্যমেই দেশের জন্য আরও অনেক কাজ করতে চান।পাঠকের নিশ্চয়ই মনে আছে, মীনার ছোট ভাই রাজুর কথা। রাজু সব ধরনের দুষ্টুমিতে মীনাকে মাতিয়ে রাখে। রাজুর ভূমিকায় কণ্ঠ দিচ্ছে আবরার সাজিদ পাশা। অবশ্য বাবা-মা রোদ্দুর বলে ডাকেন। ও এখন অরণি বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণীতে পড়ে। প্রথম যখন অডিশনে রাজুর ভূমিকায় কণ্ঠ দেওয়ার সুযোগ পেয়েছিল, তখন পড়ত প্রথম শ্রেণীতে। কথায় কথায় সেটাই জানিয়ে দেয় আবরার। বলে, ‘রাজুর ভূমিকায় কণ্ঠ দিতে বেশ ভালো লাগে। বিভিন্ন পর্বে অনেক ভালো ভালো কথা বলে মানুষকে অনেক তথ্য জানাতে পারি। আমার আব্বু জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে কাজ করে। আর আমিও জাতিসংঘের একটি সংগঠনের হয়ে কাজ করছি। আব্বুর সঙ্গে আমার কাজের একটা মিল আছে। এ জন্য আব্বু-আম্মুও অনেক উৎসাহ দেয় আমায়।’ এক ফাঁকে আবরার জানিয়ে দেয় শুধু কার্টুনেই নয়, রাজুর কথা শুনতে হলে এখন প্রতি শুক্রবার সকাল সোয়া ১০টায় বাংলাদেশ বেতারে ‘আমি মীনা বলছি’ অনুষ্ঠানটি শুনলেই হবে। আবরার সেখানে নিয়মিত রাজুর ভূমিকায় কণ্ঠ দিচ্ছে।পাঠক নিশ্চয়ই বুঝে গেছেন, এবার কার কথা বলব! মীনার ছোট্ট আর দুষ্টু টিয়াপাখি মিঠু। ওর কথা তো সবার মনে আছেই। সেই যে কথা বলা শিখতে শিখতে ‘আমার নাম মিঠু...’ বলতে পারা! আর ডানা ঝাপটানো! কী ভাবছেন, মিঠু একটি টিয়াপাখি। তাকে খুঁজে পেলাম কেমন করে? ভুলটা ভেঙে দিলেন একজন। অবিকল টিয়াপাখির মতো করে বললেন, ‘আমার আসল নাম কামাল আহসান। বন্ধুরা আমাকে বিপুল বলেও ডাকতে পারো।’ টিয়াপাখি মিঠুর কণ্ঠ দিচ্ছেন কামাল আহসান। কবে থেকে এই কাজের সঙ্গে যুক্ত জিজ্ঞেস করতেই বললেন, ‘আমি শুরু থেকেই মুস্তাফা মনোয়ার স্যারের সঙ্গে পাপেট শো করতাম। সেখানে বিভিন্ন ধরনের কণ্ঠ দিতে হতো। ১৯৯৮ সালে সবেমাত্র ডিগ্রি পাস করেছি। আমাকে বলা হলো টিয়াপাখির মতো করে কণ্ঠ দিতে। আমি চেষ্টা করলাম। আর আমাকে নির্বাচনও করা হলো।’কামাল আহসান মূলত মঞ্চ, বেতার ও টেলিভিশনের অভিনয়শিল্পী। একই সঙ্গে তিনি পাপেট শোতে বিভিন্ন ধরনের চরিত্রে কণ্ঠ দেন।টিয়াপাখির কণ্ঠ দিতে কি কোনো সমস্যা হয়েছিল আপনার, প্রশ্ন করি? খানিকটা থেমে তিনি বলেন, ‘যখন আমাকে টিয়াপাখির ভূমিকায় নেওয়া হলো, তখন থেকেই পাখিদের আচরণ দেখতে শুরু করলাম। পাখি কেমন করে বসে, কেমন করে খায়, কেমন করে ডানা ঝাপটায়—এগুলো পর্যবেক্ষণ করতে শুরু করলাম।‘যেহেতু আগে থেকেই অভিনয়ের সঙ্গে জড়িত, জাদুকরি যদি (ম্যাজিক ইফ) তত্ত্বটা জানাই ছিল। নিজেকে পাখির মতো ভাবতে শুরু করলাম। বাতাস এলে পাখি কী করে, পর্যবেক্ষণ করতাম। ধীরে ধীরে ট্যার..ট্যার..ট্যাট এই রকম অনেক শব্দ নিজেই রপ্ত করে ফেললাম।’দেশের সবাই আপনাকে মিঠু নামেই চেনে, এটা ভাবতে কেমন লাগে?‘আজ আমি যখন বাসা থেকে বের হচ্ছি, আমার ছেলে বায়না ধরল আমার সঙ্গে যাবে। ওকে বললাম মিঠুর সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছি। ও মিঠুর কথা শুনে খুব মজা পায়। তবে, ও এখনো অনেক ছোট। তাই বুঝতে পারে না যে ওটা আমিই করি। বলল, “তুমি মিঠুকে আমার কথা বোলো।” শুধু আমার ছেলেই নয়, অন্য অনেক শিশুর কল্পনায় আমার একটা অবস্থান আছে।’মিঠুর চরিত্রে কণ্ঠ দিতে গিয়ে কোনো বিড়ম্বনায় কি পড়তে হয়?‘আসলে এটা ঠিক বিড়ম্বনা নয়। কেউ যখন জানতে পারে, আমি মীনা কার্টুনের মিঠু, তখন আবদার করে, একটু মিঠুর মতো করে বলেন তো! আমি বাধ্য ছাত্রের মতো শুনিয়ে দিই মিঠুর কণ্ঠ। ওরা মজা পায়। আসলে মানুষকে আনন্দ দিতে পারছি, একই সঙ্গে জনগণের মধ্যে সচেতনতা গড়ে তুলতে পারছি, এটা আমার জীবনের অনেক বড় পাওয়া। মিঠুর চরিত্রে কণ্ঠ দেওয়াটা আমার জীবনের একটা বড় ঘটনা।’ফরিদপুরের বোয়ালমারী ও নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলায় গতকাল মঙ্গলবার পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন দুজন।নিহত ব্যক্তিরা হলেন লোহাগড়ার আমডাঙ্গা গ্রামের হেমায়েত শেখের ছেলে রংমিস্ত্রি অসীম শেখ (২০) ও ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার সদর ইউনিয়নের মেছোরদিয়া গ্রামের রাজ্জাক শেখের ছেলে ও রায়েকদা কারিগরি কলেজের ছাত্র পাভেল শেখ (১৭)।পাভেল তাঁর বন্ধু নাইমকে নিয়ে বোয়ালমারী যাচ্ছিলেন। জয়নগর এলাকায় মোটরসাইকেলটি রাস্তার পাশের একটি গাছে ধাক্কা খায়। এতে তাঁরা আহত হন। হাসপাতালে নেওয়ার পথে পাভেলের মৃত্যু হয়।লোহাগড়ার মশাঘুনিতে একটি বাস অসীমদের মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দিলে পাশের গাছের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে অসীম ও মোটরসাইকেলচালক কামালপ্রতাপ গ্রামের মোরশেদ শেখ (২৪) আহত হন। পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসকেরা অসীমকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।মাদারীপুরের শিবচর পৌর এলাকার খানকান্দি এলাকায় গত বুধবার গভীর রাতে চালক দেলোয়ার হোসেন ও সহকারী হালান মিয়াকে আটকে সিমেন্টবোঝাই একটি ট্রাকে আগুন ধরিয়ে দেন অবরোধকারীরা। অল্পের জন্য তাঁরা বেঁচে যান।জানা গেছে, মুন্সিগঞ্জের মোক্তারপুর থেকে সিমেন্ট বোঝাই করে রাত আনুমানিক তিনটায় খানকান্দিতে পৌঁছালে ওত পেতে থাকা একদল অবরোধকারী পাঁচ্চর-শিবচর সড়কে গাছের গুঁড়ি ফেলে অবরোধ করেন। এ সময় তাঁদের মারধর করে ট্রাকের মধ্যে আটক রেখে পেট্রল দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। পরে তাঁরা কোনো রকমে লাফিয়ে রক্ষা পান। এতে দেলোয়ারের (৪৫) হাত ভেঙে যায়। পরে তাঁকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়।শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) আরশেদ আলী জানান, এ ব্যাপারে শিবচর থানায় একটি মামলা হয়েছে।দিনাজপুর বোর্ডে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষায় প্রথম স্থানে রয়েছে ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ, রংপুর। রংপুরের চারটি প্রতিষ্ঠান এবার এই বোর্ডে সেরা দশের তালিকায় রয়েছে।প্রকাশিত ফলাফলে দেখা গেছে, ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ, রংপুরের ৩৫২ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৩৪৩ জন জিপিএ-৫ পেয়ে প্রথম স্থান পেয়েছে। এ ছাড়া আইডিয়াল ্পাবলিক স্কুলের ৫০ জনের মধ্যে ৪৮ জন জিপিএ-৫ পেয়ে সপ্তম, রংপুর ক্যাডেট কলেজের ৪৯ জনের মধ্যে ৪৯ জনই জিপিএ-৫ পেয়ে অষ্টম স্থান এবং রংপুর জিলা স্কুলের ২২৯ জনের মধ্যে ১৯০ জন জিপিএ-৫ পেয়ে দশম স্থান অধিকার করেছে।দ্য মিলেনিয়াম স্টারস স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৯০ জনের মধ্যে ৮৩ জন জিপিএ-৫ পেয়ে ১১তম, রংপুর সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের ২৫৭ জনের মধ্যে ১৯২ জন জিপিএ-৫ পেয়ে ১৩তম এবং পুলিশ লাইনস স্কুল অ্যান্ড কলেজ, রংপুরের ২২৮ জনের মধ্যে ১৫৫ জনজিপিএ-৫ পেয়ে ১৮তম স্থান অধিকার করেছে। |
পাকিস্তানের নারীশিক্ষা আন্দোলনের কর্মী মালালা ইউসুফজাই ভবিষ্যতে রাজনীতিবিদ হতে চায়। সমাজে প্রভাব বিস্তার করার ক্ষেত্রে রাজনীতিকদের ক্ষমতাই তাকে এ বিষয়ে আগ্রহী করেছে।যুক্তরাষ্ট্রের খ্যাতনামা হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘হিউম্যানিটারিয়ান অব দ্য ইয়ার’ নির্বাচিত হওয়ার পর গত শুক্রবার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে দেওয়া ভাষণে মালালা তার ইচ্ছার কথা জানায়। মানব কল্যাণে অবদানের জন্য চলতি বছর মালালাকে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় ‘পিটার জে গোমেজ হিউম্যানিটারিয়ান অ্যাওয়ার্ড’ দেয়। শুক্রবার আনুষ্ঠানিকভাবে তার হাতে এ পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। এ সময় মালালা তার মাতৃভূমি পাকিস্তানের সোয়াত উপত্যকার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে স্মৃতিকাতর হয়ে পড়ে। একদিন সে স্বদেশের বাড়িতে ফিরে যেতে পারবে বলেও আশা প্রকাশ করে। সোয়াত উপত্যকাকে ভূস্বর্গ বলে উল্লেখ করে মালালা বলে, ‘কিন্তু ওখানে কিছু কিছু এলাকা খুবই বিপজ্জনক। সেসব এলাকায় তালেবান জঙ্গিরা মেয়েদের বহু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বোমায় উড়িয়ে দিয়েছে। ’হার্ভার্ডের স্যান্ডার থিয়েটারে শত শত শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও শুভার্থীর সামনে মালালা বলে, ‘এ কথা সত্যি যে এই জঙ্গিদের বিরুদ্ধে সোয়াতে কমসংখ্যক মানুষই প্রকাশ্যে প্রতিবাদ করেছে। কিন্তু শান্তি ও শিক্ষার কণ্ঠ অনেক বেশি শক্তিশালী। ’পাকিস্তানি কিশোরী মালালা গত বছরের অক্টোবরে স্কুল থেকে ফেরার পথে তালেবান জঙ্গিরা খুব কাছ থেকে তার মাথায় গুলি করে গুরুতর আহত করে। দ্য টেলিগ্রাফ।ঢাকা-ভোলা আসা-যাওয়া করতে আর ভালো লাগে না এমডিআর (মাল্টি ড্রাগ রেজিস্ট্যান্স) যক্ষ্মায় আক্রান্ত মাসুমা বেগমের। তবু বাধ্য হয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। ভোলায় চিকিৎসাসেবা না থাকায় মাসুমার মতো রোগীদের প্রতি মাসে ঢাকার বক্ষব্যাধি হাসপাতালে যেতে হয়। এতে রোগীদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।মাসুমার বাড়ি ভোলার লালমোহন উপজেলার ধলীগৌরনগর ইউনিয়নের চতলা গ্রামে। মাসুমা বলেন, লঞ্চের ডেকে করে ঢাকা যাতায়াত করলে শরীর আরও অসুস্থ হয়ে পড়ে। এ সময় খাওয়াদাওয়া ও শৌচাগার ব্যবহারে অনেক ভোগান্তি হয়। যক্ষ্মা রোগীদের প্রতিদিন যে পরিমাণ ভিটামিনযুক্ত খাবার খাওয়া দরকার, তা-ও জোটে না। দিনমজুর স্বামীর পক্ষে প্রতিদিন দুধ, ডিম বা ভিটামিনযুক্ত খাবারও জোগাড় করাও সম্ভব নয়।মাসুমা বলেন, ‘সরকার ও ব্র্যাক সংস্থা আমগো লাইগ্যা লক্ষ লক্ষ টিয়া (টাকা) খরচ করে। হেগো উছিলায় মরণব্যাধি থেইক্যা বাঁইচ্যা উঠতে আছি ঠিকই, তয় চিকিৎসার ব্যবস্তাডা ভোলায় আইন্যা দিলে কতই-না বালা অইত! ঢাকা যাওন-আওন আর সইয্যো অয় না।’ভোলা টিবি হাসপাতালের চিকিৎসা কর্মকর্তা ডি এস এম জাকির বলেন, যক্ষ্মা রোগীদের প্রথম ছয় মাসের চিকিৎসায় কেউ অনিয়মিত ওষুধ সেবন করলে অথবা চিকিৎসা-পদ্ধতিতে ভুল হলে এমডিআর যক্ষ্মা হয়। এমডিআর রোগীর ছোঁয়ায় আরেকজনের এ রোগ হতে পারে। এ রোগ ধরা পড়লে টানা ২৪ মাস চিকিৎসাধীন থাকতে হয়। প্রথম ছয়-সাত মাস ঢাকা বক্ষব্যাধি হাসপাতালে এবং পরবর্তী ১৮ মাস ব্র্যাকের সেবিকার আশ্রয়ে ওষুধ সেবন করতে হয়।ভোলায় এ পর্যন্ত ১৭ জন এমডিআর যক্ষ্মা রোগী শনাক্ত হয়েছে। তাঁদের মধ্যে দুজন মারা গেছেন। সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠেছেন দুজন রোগী।রোগী ও তাঁদের স্বজনেরা জানান, যক্ষ্মার দীর্ঘ চিকিৎসায় সরকার ও ব্র্যাকের বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয়ের পরও প্রত্যেক রোগীর ৩০ থেকে ৫০ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে। সংসারের একমাত্র আয়ের ব্যক্তিটি যক্ষ্মায় আক্রান্ত হলে সংসার অচল হয়ে যায়।কয়েকজন রোগী জানান, ভোলার হাসপাতালগুলোতে যক্ষ্মা রোগের ভালো চিকিৎসাসেবা ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যবস্থা নেই। জেলা ও উপজেলা শহরে চিকিৎসা ও পরীক্ষার ব্যবস্থা থাকলে ভোগান্তি থাকত না। এলাকায় শুধু প্রাথমিক কফ পরীক্ষার ব্যবস্থা রয়েছে। তবে এমডিআর পরীক্ষার কোনো ব্যবস্থা নেই।ব্র্যাকের স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও জনসংখ্যা কর্মসূচির ভোলা জেলা ব্যবস্থাপক সুখরঞ্জন কুণ্ডু বলেন, ভোলায় মোট এক হাজার ৩৫৮ জন যক্ষ্মা রোগীর সেবা নিশ্চিত করতে সরকারের পাশাপাশি তাঁদের সেবিকা ও স্বাস্থ্যকর্মীরা কাজ করছেন। এখানে ৩২০টি কফ সংগ্রহকেন্দ্র রয়েছে। কফ পরীক্ষার জন্য ১৫টি ল্যাব রয়েছে। তার পরও অনেক সমস্যা।সচেতনতা বাড়ানো, ভোলায় জিনস্পার্ট মেশিন বসানো, সব উপজেলায় এক্স-রে মেশিন স্থাপন, দক্ষ ল্যাব টেকনিশিয়ান, সব পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যবস্থা, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট, ল্যাব ও বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক থাকলে রোগীদের ভোগান্তি কমবে বলে জানা তিনি।ভোলা জেলা সিভিল সার্জন ফরিদ আহাম্মদ বলেন, প্রতিটি জেলায় সব যক্ষ্মা রোগীকে ভোগান্তি কমাতে চিকিৎসাব্যবস্থা রাখা জরুরি। এতে করে যক্ষ্মায় মৃত্যুহারও কমিয়ে আনা সম্ভব হবে। ভোলায় এমডিআর চিকিৎসাসেবা দেওয়ার মতো তেমন কোনো ব্যবস্থা না থাকায় রোগীদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।রাজবাড়ী শহর রক্ষা প্রকল্পের পদ্মা নদীর তীর সংরক্ষণ ঢালের প্রায় ১৫০ মিটার ধসে যাওয়ায় আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন এলাকাবাসী। অভিযোগ উঠেছে, নিয়ম মেনে কাজ না করায় এই ধসের সৃষ্টি হয়েছে।১৩ সেপ্টেম্বর সদর উপজেলার মিজানপুর ইউনিয়নের ধুঞ্চি গ্রামের মৌলভীর ঘাটের পশ্চিম দিকে প্রথমে একটি ধসের সৃষ্টি হয়। ওই ধসের পাশে সম্প্রতি আরও দুটি স্থানে ধসের সৃষ্টি হয়। এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেন।রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, রাজবাড়ী শহর রক্ষা প্রকল্পের আওতায় পদ্মা নদীর ডান তীর সংরক্ষণ করা হয়। ২৩টি প্যাকেজের আওতায় মোট ৪৭ কোটি ৭১ লাখ টাকা ব্যয়ে নদীর তীর সংরক্ষণের কাজ ২০০৯ সালের জুনে শুরু হয়। সদর উপজেলার মিজানপুর ইউনিয়নের গোদার বাজার থেকে দাদশী ইউনিয়নের বোলতা গ্রাম পর্যন্ত দুই কিলোমিটার ৪০০ মিটার এবং গোয়ালন্দ উপজেলার দেবগ্রাম ইউনিয়নের টেংরাপাড়ায় পদ্মার তীরের ঢাল ৪০০ মিটার ব্লক দিয়ে বাঁধাই করা হয়। ২০০৯ সালে শুরু হওয়া এই কাজ ২০১১ সালের জুন মাসে শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করতে না পারায় তা শেষ হয় ২০১২ সালের জুন মাসে। ধসে যাওয়া ওই অংশের কাজ করে কুষ্টিয়ার ঠিকাদারিপ্রতিষ্ঠান ওয়েস্টার্ন ইঞ্জিনিয়ারিং।স্থানীয় ধুঞ্চি গ্রামের বাসিন্দা রাতুল আহমেদ জানান, গত বছর বালু তোলার ফলে এখানে বড় আকারের গর্তের সৃষ্টি হয়। নদীতে পানি বাড়ার পর এখানে হঠাৎ করেই ধসে যায়। এমন অবস্থায় পানি বাড়লে পাড় ভেঙে ফসলি জমিসহ বসতবাড়ি ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন তিনি।স্থানীয় বাসিন্দা আব্বাস আলী জানান, নদী ভাঙনের ফলে কয়েক বছরে প্রায় দুই মাইল ভেতরে চলে এসেছে। বালু তোলার ফলে তীর সংরক্ষণ বাঁধ ধসে পড়লে অচিরেই বেড়িবাঁধের ওপর প্রভাব পড়বে। তখন নদীর তীরের মানুষই নয় শহরের মানুষও হুমকির মুখে পড়বে।এলাকাবাসী অভিযোগ করেন, নদীর তীর সংরক্ষণের কাজ চলার সময় একাধিকবার ধসের ঘটনা ঘটে। এ সময় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল কাজ বুঝিয়ে দেওয়ার পর আর কোনো সমস্যা হবে না। এ ছাড়া সরকারি দলের ছত্রচ্ছায়ায় পদ্মা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু তোলা হয়। সব মিলিয়ে এসব ধসের ঘটনা ঘটছে।পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবদুল আউয়াল মিয়া জানান, বালু তোলায় বাঁধের কোনো ক্ষতি হয়নি। তীর সংরক্ষণের জন্য জরুরি প্রয়োজনে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ ব্লক তৈরি করে রাখা রয়েছে। যেটুকু অংশের ক্ষতি হয়েছে তা তেমন ভয়াবহ নয়। ক্ষতিগ্রস্ত অংশ মেরামত করার কাজ চলছে।স্থানীয় সাংসদ কাজী কেরামত আলী জানান, ধসে যাওয়া অংশের মেরামতের জন্য পাউবোকেবলা হয়েছে।সৃজনশীল প্রশ্নোত্তরপ্রিয় শিক্ষার্থীরা, আজ বাংলা ১ম পত্রের ‘পদ্মা নদীর মাঝি’ উপন্যাস থেকে একটি সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর দেওয়া হলো।# ‘আমার বিবাহে আমার শ্বশুর পনেরো হাজার টাকা নগদ এবং পাঁচ হাজার টাকার গহনা দিয়েছিলেন। বাবা তাঁহার এক দালাল বন্ধুর কাছে খবর পাইয়াছেন ইহার মধ্যে পনেরো হাজার টাকাই ধার করিয়া সংগ্রহ করিতে হইয়াছে।’প্রশ্ন:ক. কুবেরের মেয়ের নাম কী?খ. হোসেন মিয়াকে রহস্যময় লোক বলা হয়েছে কেন?গ. উদ্ধৃতাংশের পণ প্রথার সঙ্গে পদ্মা নদীর মাঝি উপন্যাসের পণ প্রথার যে বৈষম্য দেখা যায়, তা নিরূপণ করো।ঘ. অনুচ্ছেদের উল্লিখিত পণ প্রথার কারণ এবং এ থেকে উত্তরণের উপায় পদ্মা নদীর মাঝি উপন্যাসের আলোকে বিশ্লেষণ করো।উত্তর: ক.পদ্মা নদীর মাঝি উপন্যাসে কুবেরের মেয়ের নাম গোপী।উত্তর: খ.হোসেন মিয়ার ব্যবসা-বাণিজ্য সম্পর্কে কেতুপুরবাসী অজ্ঞাত। কিন্তু সে আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়েছে। আর তাই হোসেন মিয়াকে রহস্যময় লোক বলা হয়েছে।হোসেন মিয়া নোয়াখালী অঞ্চলের লোক। মাত্র কয়েক বছর ধরে কেতুপুর গ্রামে বাস করছে। প্রথম যখন সে কেতুপুর গ্রামে আসে, তখন তার ছিল একটা ছেঁড়া লুঙ্গি। কিন্তু অল্পদিনে সে জমি-জায়গা কিনে, ঘরবাড়ি তুলে পরম সুখেই দিন কাটাচ্ছে। অথচ কেতুপুরবাসী জানে না তার আয়ের উৎস কোথায়? তাই কেতুপুরবাসীর দৃষ্টিতে হোসেন মিয়া একজন রহস্যময় চরিত্র।উত্তর: গ.উদ্ধৃতাংশের পণ বলতে বোঝানো হয়েছে মেয়ের পিতা কর্তৃক ছেলেকে দেয় যৌতুক। আর পদ্মা নদীর মাঝি উপন্যাসে বর্ণিত পণ প্রথা হলো ছেলে বা তার পিতা কর্তৃক বিবাহ উপলক্ষে মেয়েকে দেয় টাকা-পয়সা।আমাদের বর্তমান সমাজব্যবস্থায় যে যৌতুক প্রথা প্রচলিত আছে, তাকেই উদ্ধৃতাংশে টেনে আনা হয়েছে। বর্তমানে মেয়ে বিয়ে দিতে হলে ছেলে কিংবা তার মা-বাবা কর্তৃক উত্থাপিত সুযোগ-সুবিধা প্রদান করতে হয়—যাকে আমরা যৌতুক প্রথা বলে থাকি। সরকার কর্তৃক যৌতুকবিরোধী আইন পাস করা সত্ত্বেও যৌতুক প্রথা আমাদের সমাজে পাকাপোক্ত হয়ে বসে আছে। যৌতুক ছাড়া বিয়ে হচ্ছে এমন অবস্থা আমাদের পারিপার্শ্বিকতায় একান্তই নগণ্য ব্যাপার। গোটা সমাজব্যবস্থায় এ যেন একটি অভিশাপ। এ অভিশাপ থেকে মুক্তির যেন কোনো পথই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। প্রতিদিন পত্রিকার পাতা উল্টালেই এর সত্যতা নিশ্চিত হওয়া যায়।পদ্মা নদীর মাঝি উপন্যাসে যে পণ প্রথার উল্লেখ রয়েছে, তা বর্তমান যৌতুক প্রথার সম্পূর্ণ বিপরীত অবস্থা। সেখানে ছেলে কর্তৃক মেয়ে বা মেয়ের বাবাকে পণ দিয়ে তাকে বউ করে ঘরে নিতে হয়। যা-ই হোক, এটাও একটি যৌতুক প্রথা। ইসলামি দৃষ্টিকোণ থেকে বিচার-বিশ্লেষণ করলে মেয়েকে তার মোহরানার টাকা পরিশোধ করতে হয়। এটা মেয়েদের অধিকার। কিন্তু বিবাহসংক্রান্ত বিষয়ে আর্থিকভাবে ছেলের কোনো অধিকার নেই। পণ প্রথা একটি সামাজিক ব্যাধি। এ ব্যাধি থেকে আমরা বেরিয়ে আসতে সচেষ্ট হব।উত্তর: ঘ.উদ্ধৃতাংশের পণ প্রথার অন্যতম প্রধান কারণ হলো অপরিমেয় লোভাতুর চাহিদা এবং এ থেকে উত্তরণের পথ হলো সুশিক্ষার ভেতর দিয়ে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি করা।আমাদের সমাজব্যবস্থায় পণ প্রথার যে বিস্তার ঘটেছে তার কারণ বহুমাত্রিক।শিক্ষার অভাব: সুশিক্ষা অর্জন করতে না পারা, অথবা শিক্ষা অর্জনে ব্যর্থতা।সচেতনতার অভাব: সচেতনতার অভাবে পণ প্রথা বৃদ্ধি পাচ্ছে।নৈতিকতার অভাব: নৈতিক অবক্ষয়ের কারণে পণ প্রথার অভিশাপ ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে।ধর্মীয় মূল্যবোধের অভাব: ধর্ম মানুষকে পরিশীলিত করে। পর্যাপ্ত ধর্মীয় জ্ঞান অর্জনের অভাব।সামাজিক অবক্ষয়: সামাজিক অবক্ষয় ব্যাপক হারে বৃদ্ধির ফলে পণ প্রথা বৃদ্ধি পাচ্ছে।নির্লোভ মনোভাবের ঘাটতি: এক শ্রেণীর মানুষের মনে লোভ জিনিসটি ব্যাপকভাবে কাজ করে বলে পণ প্রথা বৃদ্ধি পাচ্ছে।বেকারত্ব: বেকারত্ব একটি অভিশাপ। এ অভিশাপ থেকে মুক্তি পেতে পণ প্রথার ব্যাপক প্রসার ঘটছে।আইনের ব্যবহারের শৈথিল্য: অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আইনের প্রয়োগের ঘাটতি এ প্রথা বৃদ্ধির কারণ।আমরা পদ্মা নদীর মাঝি উপন্যাসে যে পণ প্রথার অস্তিত্ব খুঁজে পাই, তা হলো ছেলের পক্ষ থেকে মেয়েকে দেয় টাকা-পয়সা। অবশ্য ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে মোহরানা হিসেবে ছেলের পক্ষ থেকে মেয়ে নগদ টাকা বা সমমানের অলংকার প্রাপ্য হয়ে থাকে। আর এ টাকা বাসর রাতেই মেয়েকে পরিশোধ করতে হয়। তবে পদ্মা নদীর মাঝি উপন্যাসের পণ প্রথা আর মোহরানা এক কথা নয়।পণ প্রথা বা যৌতুক প্রথা থেকে মুক্তি পেতে হলে নিচের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।নৈতিকতা সুদৃঢ় করতে হবে।ধর্মীয় মূল্যবোধে বলীয়ান হতে হবে।সুশিক্ষিত সমাজব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে।লোভ-লালসা পরিহার করতে হবে।সরকারি আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।শেষে বলা যায় যে পণ প্রথা একটি কুপ্রথা। এ প্রথার হাত থেকে রক্ষা পেতে হলে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। |
এই কিছুদিন আগেও তাঁর ওপর বিরক্ত ছিল সমর্থকেরা। তারা দাবি তুলেছিল আর্সেন ওয়েঙ্গারের সঙ্গে চুক্তি নবায়ন না করতে। কিন্তু দলবদলের বাজারে শেষ মুহূর্তে মেসুত ওজিলকে কিনে বাজিমাত করেছেন আর্সেনাল কোচ। প্রিমিয়ার লিগেও উত্তর লন্ডনের ক্লাবটির সুসময় চলছে। সমর্থকদের আস্থা ফিরে পাওয়া ওয়েঙ্গারও তাই জানালেন, এই ভালোবাসা নিয়েই তিনি চিরদিন থাকতে চান আর্সেনাল কোচ হিসেবে।এ মুহূর্তে প্রিমিয়ার লিগের সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী কোচ তিনি। ১৯৯৬ সালে ‘গানারদের’ দায়িত্ব নিয়ে ১৭টি বছর কাটিয়ে দিয়েছেন। যদিও তার অধীনে আর্সেনাল শেষ বড় কোনো শিরোপা জিতেছে আট বছর আগে। তবে পরশু ব্রিটিশ দৈনিক টেলিগ্রাফ-এর সঙ্গে সাক্ষাৎকারে ক্লাবের স্বত্বাধিকারী মার্কিন ধনকুবের স্টান ক্রোয়েনকে বলেছেন, ফরাসি কোচের প্রতি এখনো তাঁরা পূর্ণ আস্থাশীল। মালিকপক্ষের ভরসায় স্বভাবতই উচ্ছ্বসিত আর্সেনাল কোচ, ‘সত্যি বলতে আমি চিরদিন এখানে থেকে যেতে পারলেই খুশি হতাম। কিন্তু তার জন্য আমাকে অমর হতে হবে। এটা বোকার মতো চিন্তা হয়ে যায়। তাই আমি যত দিন এখানে আছি এই ক্লাবকে সেরাটা দিয়ে যেতে চাই। কারণ আমি আর্সেনালকে ভালোবাসি।’ধারণা করা হচ্ছে, ক্লাবের সঙ্গে কিছুদিনের মধ্যেই তাঁর চুক্তি নবায়ন হবে। তবে খেলার চেয়ে এসব বিষয়ে বেশি মনোযোগ দিতে রাজি নন আর্সেনাল কোচ, ‘আমি জানি না কখন চুক্তি সই হবে, কখন সময় পাব। এটা এ মুহূর্তে খুব জরুরি কিছু নয়।’ রয়টার্স।মিছিল সমাবেশপিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলায় গতকাল মঙ্গলবার যুবলীগের কর্মী স্বপন শীল হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ ও হরতালবিরোধী মিছিল-সমাবেশ করেছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ। সকালে মিছিল শেষে শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র রফিউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আফজার হোসেন, আওয়ামী লীগের নেতা এ কে এম সেলিম মিয়া, ফারুক উজ জামান, মোস্তফা শাহ আলম, উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আজিজুল হক, যুগ্ম আহ্বায়ক শাকিল আহমেদ, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম প্রমুখ।মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) প্রতিনিধিহুইলচেয়ারখুলনার ডুমুরিয়া উপজেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উদ্যোগে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা পরিষদ চত্বরে সাতজন প্রতিবন্ধীকে হুইলচেয়ার দেওয়া হয়েছে। সরকারের প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্র এবং জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের অর্থে ডুমুরিয়ার থুকড়া গ্রামের মোদাচ্ছের বিশ্বাস, উলা গ্রামের আবুল কাশেম, চহেড়া গ্রামের বাসন্তী পাল, ঘোষগাঁতী গ্রামের আবদুল মান্নান মোড়ল, আটলিয়া গ্রামের তানিয়া খাতুন, শরাফপুর গ্রামের আকতারমোল্লা ও আরাজী ডুমুরিয়া গ্রামের আবদুল আজিজকে সাতটি হুইলচেয়ার বিতরণ করা হয়।ডুমুরিয়া (খুলনা) প্রতিনিধিমানববন্ধনফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা আদর্শ ডিগ্রি কলেজ সরকারীকরণের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকালে কলেজ প্রাঙ্গণ থেকে গোপালপুর বাজার চৌরাস্তায় দুই ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। মানববন্ধন চলাকালে কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান খান বেলায়েতের সভাপতিতে বক্তব্য দেন কলেজের অধ্যক্ষ মো. মোরশেদুর রহমান, উপাধ্যক্ষ মো. কামাল আতাউর রহমান, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান এ কে এম আহাদুল হাসান প্রমুখ। বক্তারা অবিলম্বে কলেজটি সরকারীকরণের দাবি জানান।ফরিদপুর অফিসবঙ্গোপসাগরে জলদস্যুরা গত দুই দিনে অন্তত ২৫টি ট্রলারে ডাকাতি করেছে। এ সময় তারা পাঁচটি ট্রলারসহ ৩৬ জেলেকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।পরে এফবি মিনা-২ নামের একটি ট্রলার ওই জেলেদের মধ্যে ৩১ জনকে সাগরে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে বরগুনার পাথরঘাটা কোস্টগার্ড ক্যাম্পে নিয়ে আসে।উদ্ধার হওয়া চট্টগ্রামের বাঁশখালীর কাজল মাঝি ও দিপাল চন্দ্র এবং পটুয়াখালীর মহিপুরের জেলে জাহাঙ্গীর হোসেন ও আবু বকর সিদ্দিকের বরাত দিয়ে বরগুনা জেলা ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী এ খবর নিশ্চিত করেছেন।ফিরে আসা জেলে নাসির উদ্দিন, খলিল চৌকিদার ও আনছার মাঝির সঙ্গে কথা বলে বরগুনা জেলা ট্রলার শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আ. মন্নান মাঝি জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে বুধবার গভীর রাত পর্যন্ত দুই দিনে সাগরে অন্তত ২৫টি ট্রলারে ডাকাতি হয়েছে। এ সময় পাঁচটি ট্রলারসহ ৩৬ জেলেকে অপহরণ করে নিয়ে গেছে জলদস্যুরা। পাঁচটি ট্রলারের মধ্যে তিনটির নাম জানা গেছে। এগুলো হলো বাগেরহাটের রায়েন্দার মায়ের দোয়া-২, চট্টগ্রামের বাঁশখালীর এফবি চাঁদ ও উষনা। পরে দস্যুরা মারধর করে ৩১ জেলেকে সাগরে ফেলে দেয়।প্রায় পাঁচ ঘণ্টা পর বরগুনার পাথরঘাটার এফবি মিনা-২ নামের একটি ট্রলার তাঁদের উদ্ধার করে। ট্রলারটি তাঁদের নিয়ে গতকাল দুপুরে পাথরঘাটা কোস্টগার্ড ক্যাম্পে আসে। উদ্ধার করা জেলেদের বাড়ি চট্টগ্রামের বাঁশখালী, পটুয়াখালীর মহিপুর, পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া ও তুষখালী এবং বরগুনার পাথরঘাটায়।এ ব্যাপারে কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোনের পাথরঘাটা স্টেশন কমান্ডার লে. শহিদ আল হাসান জানান, উদ্ধার হওয়া জেলেদের নিজ নিজ এলাকায় পাঠিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ছিনিয়ে নেওয়া ট্রলারের ব্যাপারে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। তবে এ ব্যাপারে জেলেরা সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য দিতে পারছেন না।নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলায় এবারের জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষায় আটটি ম্যাধমিক বিদ্যালয় থেকে শতভাগ শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছে।বিদ্যালয়গুলো হলো: সৈয়দপুর সরকারি কারিগরি মহাবিদ্যালয়, লায়ন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজ, সানফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজ, আল-ফারুক একাডেমি, সৈয়দপুর আদর্শ বালিকা উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজ, সৈয়দপুর পাইলট বালিকা উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজ, তুলসীরাম বালিকা উচ্চবিদ্যালয় এবং সৈয়দপুর ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড উচ্চবিদ্যালয়।দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, সৈয়দপুর সরকারি কারিগরি বিদ্যালয় থেকে অংশ নেওয়া ৮১ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭৭ জন। লায়ন্স স্কুল থেকে ২৯১ জনের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৫৭ জন। আল-ফারুক একাডেমির ১৭৫ শিক্ষার্থীর মধ্যে ৫৪ জন, সানফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে অংশ নেওয়া ১২৩ জনের মধ্যে ৫০ জন, সৈয়দপুর ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড উচ্চবিদ্যালয়ের ৮০ জন শিক্ষার্থীর ১৫ জন, তুলসীরাম বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের ৮০ জন পরীক্ষার্থীর ১২ জন, সৈয়দপুর আদর্শ বালিকা বিদ্যালয় ও কলেজের ৭৫ জন শিক্ষার্থীর ১০ জন, সৈয়দপুর পাইলট বালিকা উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজের ১১০ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে আটজন জিপিএ-৫ পেয়েছে।সৈয়দপুর কারিগরি মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ আমির আলী আজাদ বলেন, ‘সৈয়দপুর ভালো ফলাফলের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এমন সাফল্য সব বিদ্যালয়ের হলে আরও খুশি হতাম। শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের প্রচেষ্টায় ভবিষ্যতে আরও ভালো ফল করা সম্ভব।’ |
ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ ৫০ শয্যার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক্স-রে মেশিনটি পাঁচ বছর ধরে অকেজো পড়ে আছে। এ কারণে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হওয়া রোগীদের বাইরে গিয়ে অতিরিক্ত টাকা খরচ করে এক্স-রে করাতে হচ্ছে।একই কথা বলেন কোষা গ্রামের অবিনাশ চন্দ্র, চন্দরিয়া গ্রামের রফিকুল ইসলাম ও দৌলতপুর গ্রামের আবদুল খালেক। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিসংখ্যানবিদ নির্মল চন্দ্র রায় জানান, ৫০ এমএম ক্ষমতাসম্পন্ন এক্স-রে মেশিনটির সাহায্যে জোড়াতালি দিয়ে কাজ চালানো হচ্ছিল। ২০০৮ সালের ১১ জুলাই এটি হঠাৎ অচল হয়ে যায়। ঢাকার এশিয়া মেড কোম্পানির দুজন প্রকৌশলী ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে এসে মেরামতের চেষ্টা করেন। মেরামত সম্ভব না হওয়ায় তাঁরা এটিকে সম্পূর্ণরূপে অকেজো ঘোষণা করেন।উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. আবদুল মজিদ বলেন, নতুন আধুনিক এক্স-রে মেশিন সরবরাহের জন্য ঠাকুরগাঁও সিভিল সার্জনের মাধ্যমে কয়েকবার সিএমএসডির পরিচালক বরাবর আবেদন করা হয়েছে। তবে এখনো কিছু জানা যায়নি।প্রতিপক্ষের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়া এবং নিজেদের মধ্যে ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়ার মধ্য দিয়ে চট্টগ্রামে গতকাল মঙ্গলবার শেষ হয়েছে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দলের ডাকা তিন দিনের হরতাল কর্মসূচি। বিএনপির পাশাপাশি গতকালও আওয়ামী লীগের সরব উপস্থিতি ছিল রাজপথে। হরতালের পক্ষে ও বিপক্ষে নগরের বিভিন্ন জায়গায় পাল্টাপাল্টি মিছিল-সমাবেশ হয়েছে।গতকাল দুপুরের দিকে নগরের বন্দরটিলায় হরতালের সমর্থনে বিএনপির সমাবেশ হয়। সমাবেশে নগর বিএনপির সভাপতি আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বক্তৃতা করেন। তিনি নির্দলীয় সরকারের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত দলীয় নেতা-কর্মীদের মাঠে থাকার পরামর্শ দেন। এর পরই তিনি সমাবেশ শেষ করে চলে গেলে আওয়ামী লীগের সঙ্গে বিএনপির ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ দুটি ফাঁকা গুলি ছোড়ে বলে অতিরিক্ত উপকমিশনার মো. মনজুর মোরশেদ জানান।প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, আমীর খসরু বন্দর টিলা এলাকা ত্যাগ করার পরই বিএনপির কিছু তরুণ ও কিশোর আওয়ামী লীগের মঞ্চে ঢিল ছোড়ে। মুহূর্তের মধ্যে আওয়ামী লীগের লোকজন জড়ো হয়ে বিএনপির সমর্থকদের ধাওয়া করে। এতেই উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে বিএনপির কর্মীদের হটিয়ে দিয়ে আওয়ামী লীগ হরতালবিরোধী মিছিল করে।আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা মোহাম্মদ ইলিয়াছ প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিনা উসকানিতে বিএনপির উচ্ছৃঙ্খল কর্মীরা আমাদের মঞ্চের দিকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করছিল। পরে আমাদের ছেলেরা জড়ো হয়ে ওদের তাড়িয়ে দেয়। পুলিশও ফাঁকা গুলি ছোড়ে।’গতকাল সকালের দিকে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এম মোরশেদ খান ও বহিষ্কৃত নেতা এরশাদ উল্লাহর অনুসারীরা আলাদাভাবে নগরের বহদ্দারহাট এলাকায় সমাবেশ করছিলেন। একপর্যায়ে দুই পক্ষের মিছিল মুখোমুখি হয়। এতে এক পক্ষ আরেক পক্ষের দিকে ইটপাটকেল ছুড়ছিল। তখন দুটি ককটেলেরও বিস্ফোরণ ঘটে। উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে পুলিশ ২৫টি রাবার বুলেট ছুড়ে সবাইকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।অতিরিক্ত উপকমিশনার মো. শহীদুল্লাহ প্রথম আলোকে বলেন, ‘পর পর দুটি ককটেলের বিস্ফোরণের হলে পুলিশ ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হয়। এরপর উভয় পক্ষকে বহদ্দারহাট এলাকা থেকে সরিয়ে দেওয়া হলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।’এদিকে হরতালের শেষ মুহূর্তে দলীয় কার্যালয় নাসিমন ভবন চত্বরে ১৮ দলের সমাবেশে বক্তৃতা দেওয়াকে কেন্দ্র করে হট্টগোল বেধে যায়। এ সময় কয়েকজনের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে। এতে সভার কাজ অন্তত ১৫ মিনিট বন্ধ থাকে। নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন ও নগর স্বেচ্ছাসেবক দলের নগর সভাপতি এস কে খোদা তোতনের অনুসারীদের মধ্যে এই হট্টগোল হয়। সভা চলাকালে নাসিমন ভবনের পাশে দুটি ককটেল বিস্ফোরিত হয়।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শাহাদাত হোসেন সভাটি সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন। একই সারিতে দাঁড়ানো স্বেচ্ছাসেবক দলের নগর সভাপতি এস কে খোদা তোতন তাঁর নাম ঘোষণার জন্য শাহাদাতকে অনুরোধ করছিলেন। কিন্তু শাহাদাত মাইকে বলেন, ‘আজ কোনো সহযোগী সংগঠনের নেতাদের বক্তৃতা না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা।’ এ কথা বলার পর তোতনের অনুসারীরা স্লোগান দিতে থাকেন। একপর্যায়ে শাহাদাতের অনুসারীরাও পাল্টা স্লোগান দিলে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এর পরই তাঁদের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। পরে আবদুল্লাহ আল নোমান মাইক হাতে নিয়ে সবাইকে শান্ত করেন। আইন লঙ্ঘন করে কুষ্টিয়ায় ১৩৪টি ইটভাটায় কাঠ পোড়ানো হচ্ছে। প্রতিবছর এসব ভাটায় ৬৪ লাখ ৩২ হাজার মণ কাঠ পোড়ানো হচ্ছে। এসব কাঠ সংগ্রহ করার জন্য কুষ্টিয়াসহ আশপাশের চার জেলায় কয়েক লাখ গাছ নিধন করা হচ্ছে। অধিকাংশ ভাটাই গড়ে উঠেছে আবাদি জমিতে। এ ছাড়া আবাদি জমির উপরিভাগের মাটি কেটে ভাটায় নেওয়া হচ্ছে। এতে পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ছে।১৯৮৯ সালে ইট পোড়ানো (নিয়ন্ত্রণ) আইনের ৫-এর ধারায় উল্লেখ করা হয়েছে, আবাসিক এলাকা, বন ও ফলের বাগান থেকে তিন কিলোমিটারের মধ্যে ভাটা স্থাপনের অনুমতি দেওয়া যাবে না। ইটভাটায় জ্বালানি কাঠ দিয়ে ইট পোড়ানো যাবে না।পরিবেশ অধিদপ্তরের কুষ্টিয়া আঞ্চলিক কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, কুষ্টিয়ায় ১৩৪টি ইটভাটা রয়েছে। কতটির পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র রয়েছে, সেই হিসাব তাদের এই কার্যালয়ে নেই। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক লুৎফর রহমান জানান, জেলায় ১০০টি ভাটা আবাদি জমিতে গড়ে তোলা হয়েছে।কুমারখালী, মিরপুর, দৌলতপুর, ভেড়ামারা উপজেলার বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা গেছে, অধিকাংশ ভাটা আবাসিক এলাকার তিন কিলোমিটারের মধ্যে এবং আবাদি জমিতে গড়ে তোলা হয়েছে। এসব উপজেলায় ইট পোড়াতে জ্বালানি কাঠ বেশি ব্যবহার করা হয়।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ইটভাটার মালিক জানান, জ্বালানি কাঠ সহজেই পাওয়া যায়। এ কারণে কাঠ দিয়ে ইট পোড়ানো হয়। জেলা ইট প্রস্তুতকারক মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ বলেন, কাঠের তুলনায় কয়লার খরচ কম। তার পরও ভাটামালিকেরা কাঠ পোড়ান। কয়লা ব্যবহারের জন্য দক্ষ কারিগর পাওয়া যায় না। এ ছাড়া কয়লা দিয়ে পোড়ালে ইটের রং ভালো হয় না।কয়েকজন কৃষি কর্মকর্তা জানান, আবাদি জমির মাটি বিক্রি না করতে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হয়। কিন্তু তাঁরা নগদ টাকা পেয়ে মাটি বিক্রি করে দেন। মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট কুষ্টিয়া আঞ্চলিক কার্যালয়ের গবেষণাগারের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা শফিকুল মওলা জানান, জমির উপরিভাগের ছয়-সাত ইঞ্চিতে ফসল উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান বেশি থাকে। উপরিভাগের মাটি কেটে নেওয়ায় নাইট্রোজেন, ফসফরাস, পটাশিয়াম, দস্তা, কপার, ম্যাগনেসিয়ামসহ ১৭ ধরনের উপাদান ধ্বংস হয়ে যায়। এই ঘাটতি পূরণে ৮-১০ বছর লেগে যায়।কয়েকজন ভাটামালিক জানান, একটি ভাটায় প্রতি মৌসুমে (নভেম্বর থেকে এপ্রিল পর্যন্ত) ইট পোড়াতে গড়ে ৪৮ হাজার মণ জ্বালানি কাঠ প্রয়োজন হয়। এসব কাঠ কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গা, যশোর, মাগুরা থেকে সংগ্রহ করা হয়। প্রতি মৌসুমে একটি ভাটায় ইট তৈরির জন্য তিন লাখ ঘনফুট মাটি ব্যবহার করা হয়। প্রতি মৌসুমে একটি ভাটায় তিন শ্রেণীর ২৫ লাখ ইট তৈরি হয়।পরিবেশ অধিদপ্তর কুষ্টিয়া কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ রসায়নবিদ মিজানুর রহমান বলেন, ইটভাটায় কাঠ পোড়ানোর কোনো বিধান নেই।জেলা প্রশাসক সৈয়দ বেলাল হোসেন জানান, ইতিমধ্যে সব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। পরিবেশ অধিদপ্তরকে নিয়ে ইটভাটাগুলোতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে।বুঝলাম না, নেতারা কী এমন মাছের ব্যবসা করলেন যে এত টাকা ইনকাম করছেন!সম্ভবত গোল্ড ফিশের ব্যবসা।ভাই আওয়ামী লীগ নেতারা ক্ষমতায় আসার পর মৎস্যজীবী হয়ে উঠলেন কেন?না, তা কেন? ক্ষমতায় আসার আগেও তাঁদের অনেকে ‘জেলে’ ছিলেন।বলেন তো দেখি, নেতারা মাছের ব্যবসায় নামলেন কেন?কেন আবার, তাঁরা তো গভীর জলের মাছ। মাছের ব্যবসা তাঁদের ভালোই বোঝার কথা। |
দক্ষিণ আমেরিকায় সবার আগে বিশ্বকাপের টিকিট পেয়েছে তাঁর দল। চাইলে এখন তারকা ফুটবলারদের বিশ্রামে রাখতেই পারেন আলেসান্দ্রো সাবেলা। কিন্তু বাছাইপর্বের বাকি দুটি ম্যাচেও পুরো শক্তির আর্জেন্টিনা দলকেই খেলাবেন আর্জেন্টিনার কোচ। পেরু ও উরুগুয়ের বিপক্ষে শেষ দুটি ম্যাচের জন্য সাবেলা দলে রেখেছেন লিওনেল মেসি, সার্জিও আগুয়েরো আর গঞ্জালো হিগুয়েইনের মতো তারকাদের।১১ অক্টোবর বুয়েনস এইরেসের মনুমেন্টাল স্টেডিয়ামে পেরুর সঙ্গে ম্যাচ আর্জেন্টিনার। এর চার দিন পর মন্টেভিডিওতে প্রতিপক্ষ উরুগুয়ে। ১৪ ম্যাচে ২৯ পয়েন্ট নিয়ে (শীর্ষে) এরই মধ্যে বিশ্বকাপে জায়গা নিশ্চিত করে ফেলেছে আর্জেন্টিনা। পেরু বাদ হয়ে গেছে, কিন্তু উরুগুয়ের বিশ্বকাপ খেলা নির্ভর করছে বাকি দুটি ম্যাচের ওপর। মন্টেভিডিওর ওই ম্যাচটা তাই উরুগুয়ের জন্যই বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু দুর্ভাগ্য তাদের, ওই ম্যাচেও তাদের হয়তো পুরো শক্তির আর্জেন্টিনার বিপক্ষে খেলতে হবে। মেসি, আগুয়েরো, হিগুয়েইনরা তো আছেনই, সঙ্গে পাবলো জাবালেতা, অ্যাঙ্গেল ডি মারিয়া, এভার বানেগা ও হাভিয়ের মাচেরানোর মতো ইউরোপীয় ক্লাবের ফুটবলাররা। তবে আর্জেন্টিনা দলে জুভেন্টাসের স্ট্রাইকার কার্লোস তেভেজ ও পিএসজির মিডফিল্ডার হাভিয়ের পাস্তোরে উপেক্ষিতই রয়ে গেছেন।আর্জেন্টিনার মতো বিশ্বকাপে খেলা নিশ্চিত করেছে দক্ষিণ আমেরিকার পয়েন্ট তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা (১৪ ম্যাচে ২৬ পয়েন্ট) কলম্বিয়া। পরের তিনটি স্থানে থেকে এখনো বিশ্বকাপে জায়গা পেতে লড়ছে চিলি (২৪), ইকুয়েডর (২২) ও উরুগুয়ে (২২)।স্বাগতিক বলে বাছাইপর্বের বাধা নেই ব্রাজিলের। তবে বিশ্বকাপের প্রস্তুতিতে যাতে ঘাটতি না থাকে সে জন্য প্রীতি ম্যাচ খেলে যাচ্ছে কোচ লুইস ফেলিপে স্কলারির দল। ১২ অক্টোবর সিউলে ব্রাজিল খেলবে দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে। এর তিন দিন পর বেইজিংয়ের ম্যাচের প্রতিপক্ষ জাম্বিয়া। দুটি ম্যাচের জন্য এরই মধ্যে দল ঘোষণা করেছেন ব্রাজিল কোচ। কাকা, রোনালদিনহোর মতো অভিজ্ঞরা না থাকলেও প্রায় দুই বছর পরে ব্রাজিল দলে ডাক পেয়েছেন লুকাস। ২০০২ বিশ্বকাপজয়ী কোচের দলে এই প্রথম ডাক পেয়েছেন ক্রুজেইরো ডিফেন্ডার দেদেও। তবে যাঁরা ডাক পাননি কিংবা যাঁরা দলে থাকলেও অবস্থান নড়বড়ে, তাঁদের সবার জন্যই এখনো জাতীয় দলের দুয়ার খোলা বলে জানিয়েছেন স্কলারি। এএফপি।হরতালের প্রতিবাদে চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগ গতকাল মঙ্গলবার সকালে নগরীতে লাঠি নিয়ে মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা করেছে। এতে সহস্রাধিক নেতা-কর্মী মোটরসাইকেল নিয়ে অংশ নেন। নগরের জামিউতুল ফালাহ জাতীয় মসজিদ প্রাঙ্গণ থেকে শোভাযাত্রাটি শুরু হয়।এ সময় সংক্ষিপ্ত বক্তৃতায় যুবলীগের আহ্বায়ক মহিউদ্দিন বাচ্চু বলেন, বিরোধী দল হরতালের নামে দেশব্যাপী নৈরাজ্য চালাচ্ছে। তারা বোমা মেরে মানুষ খুন করছে। এর প্রতিবাদে যুবলীগ এই মিছিলের আয়োজন করেছে। বিরোধী দলকে রাজপথে মোকাবিলা করা হবে। যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ফরিদ মাহমুদসহ অন্য নেতা-কর্মীরা অংশগ্রহণ করেন।মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের হাতে ছিল লাঠি। কয়েকজনের হাতে হকিস্টিক দেখা যায়।চুয়াডাঙ্গার পৌর এলাকার ৭ ও ৮ নম্বর ওয়ার্ডে সাত মাস ধরে বিশুদ্ধ খাওয়ার পানির সংকট চলছে। পৌরসভার একটি পানির পাম্প বিকল হয়ে যাওয়ায় এ সমস্যা দেখা দিয়েছে। এতে সাড়ে পাঁচ হাজার মানুষ ভোগান্তি পোহাচ্ছে।পৌর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, পৌরসভার নয়টি ওয়ার্ডে আটটি পানির পাম্পের মাধ্যমে বিশুদ্ধ খাওয়ার পানি সরবরাহ করা হয়। এর মধ্যে ১৯৯৫ সালে আন্তজেলা বাস টার্মিনালে স্থাপিত পাম্পটি দিয়ে পৌরসভার ৭ ও ৮ নম্বর ওয়ার্ডে পানি সরবরাহ করা হতো। গত এপ্রিল মাসে পাম্পটি বিকল হয়ে যাওয়ার পর থেকে পানি সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়।৮ নম্বর ওয়ার্ডের কলোনিপাড়া জামে মসজিদের ইমাম আবদুর রহমান জানান, সাত মাস ধরে নিয়মিত পানি সরবরাহ করা হচ্ছে না। সকালে কিছু সময়ের জন্য পানি সরবরাহ পাওয়া গেলেও দুপুর ও বিকেলে পাওয়া যাচ্ছে না।৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সিরাজুল ইসলাম জানান, ওই এলাকায় যে পাম্প দিয়ে পানি সরবরাহ করা হয়, সেটি বিকল হয়ে গেছে। পৌরসভার অন্য এলাকার পাম্প দিয়ে পানি সরবরাহের উদ্যোগ নিলেও তা সফল হয়নি।পৌরসভার পানি বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সহকারী প্রকৌশলী এ এইচ এম শাহীদুর রশীদ জানান, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের ৩৭ শহর প্রকল্পের আওতায় সেখানে নতুন করে পাইপ বসানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর চুয়াডাঙ্গা কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী ওমর আলী জানান, পাম্পটি সংস্কারের জন্য প্রাক্কলনসহ ২২-২৩ লাখ টাকার সম্ভাব্য খরচ উল্লেখ করে ৩৭ শহর প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালকের কাছে দুই মাস আগে পত্র পাঠানো হয়েছে।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাল মঙ্গলবার নীলফামারীর সৈয়দপুরে আসবেন। তিনি সকাল ১০টার দিকে একটি বিশেষ বিমানে করে সৈয়দপুর বিমানবন্দরে অবতরণ করবেন। সেখান থেকে তিনি তাঁর নির্বাচনী এলাকা রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলায় যাবেন। সৈয়দপুর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।সৈয়দপুর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি জাওয়াদুল হক সরকার জানান, প্রধানমন্ত্রীকে বিমানবন্দরে ফুলেল সংবর্ধনা দেওয়া হবে। পরে তিনি তাঁর নির্বাচনী এলাকা রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার উদ্দেশে সড়কপথে যাত্রা করবেন। |
অর্পিত সম্পত্তির ‘খ’ তফসিল ও প্রস্তাবিত দেবোত্তর সম্পত্তি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১৩ বাতিলের দাবিতে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ গতকাল শনিবার দিনাজপুরে প্রতীক অনশন কর্মসূচি পালন করেছে।সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২ পর্যন্ত দিনাজপুর প্রেসক্লাবের সামনে প্রতীক অনশন কর্মসূচি পালন করা হয়। অনশন চলাকালে দিনাজপুর-১ (বীরগঞ্জ-কাহারোল) আসনের সাংসদ মনোরঞ্জন শীল গোপাল, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের জেলা সভাপতি ভোলানাথ ব্যানার্জি, সাধারণ সম্পাদক পরিমল চক্রবর্তী, প্রেসক্লাব সভাপতি চিত্ত ঘোষ, সাধারণ সম্পাদক গোলাম নবী দুলাল, জন্মাষ্টমী উদ্যাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রতন সিং, ব্যবসায়ী আশিষ কুমার দত্ত, আওয়ামী লীগের নেতা অনুপ কুমার দে, মনোরঞ্জন রায় ও মানব কুমার পাল বক্তব্য দেন।বক্তারা অবিলম্বে অর্পিত সম্পত্তির ‘খ’ তফসিল ও প্রস্তাবিত দেবোত্তর সম্পত্তি ব্যবস্থাপনা আইন বাতিল করে হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে বাস্তবমুখী আইন প্রণয়নের দাবি জানান।ধর্ষণের অভিযোগে ২০০৮ সালে চট্টগ্রামের ডবলমুরিং থানায় মামলা করেছিলেন এক নারী। কিন্তু মামলার তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্যের অভাবে মামলাটি আটকে আছে সাক্ষ্যগ্রহণ পর্বে। অন্যত্র বদলি হয়ে যাওয়ায় বারবার সমন জারির পরও তদন্ত কর্মকর্তা সাক্ষী দিতে আদালতে হাজির হননি। ফলে গত পাঁচ বছরেও শেষ হয়নি মামলার কাজ।নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ (সংশোধিত ২০০৩)-এর ২০(৩) ধারা অনুযায়ী মামলার তারিখ প্রাপ্তির ১৮০ দিনের মধ্যে মামলার কাজ শেষ হওয়ার কথা। অথচ নানা জটিলতায় চট্টগ্রামের তিনটি নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে তৈরি হয়েছে মামলাজট। তিনটি ট্রাইব্যুনালে বর্তমানে ১২ হাজারের বেশি মামলা বিচারাধীন রয়েছে বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে। প্রতিবছরই বাড়ছে এ সংখ্যা। এতে বিচারপ্রার্থীদের যেমন দিনের পর দিন ঘুরতে হচ্ছে আদালতের বারান্দায়, তেমনি আসামিপক্ষকেও পোহাতে হচ্ছে দুর্ভোগ।আদালত সূত্রে জানা গেছে, ট্রাইব্যুনালগুলোতে গড়ে ২০টির মতো মামলা হয় প্রতিদিন। অথচ এর বিপরীতে নিষ্পত্তি হওয়া মামলার সংখ্যা কম। তদন্তে সময়ক্ষেপণ, সময়মতো সাক্ষীদের হাজির না হওয়া, বাদী-বিবাদীর অনিয়মিত হাজিরা ইত্যাদি কারণে ঝুলে যাচ্ছে মামলাগুলোর কার্যক্রম। একশ্রেণীর আইনজীবীও মামলা বিলম্বের পেছনে ভূমিকা পালন করেন। এতে ক্রমাগতই বাড়ছে মামলাজট।আইন অনুযায়ী, ১৮০ দিনের মধ্যে মামলার কার্যক্রম শেষ না হলে উচ্চ আদালতে এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন পাঠানোর কথা। কিন্তু এ ক্ষেত্রে তা মানা হচ্ছে না।বাংলাদেশ মহিলা আইনজীবী সমিতির চট্টগ্রাম বিভাগীয় প্রধান ওয়াহিদা ইদরিস প্রথম আলোকে বলেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মামলার কার্যক্রম শেষ না হলে কী হবে সে বিষয়ে নির্দেশনা নেই আইনে। সেটি থাকা প্রয়োজন। মামলার কার্যক্রম শেষ হতে দেরি হলে আসামিরা জামিন পেয়ে যায়। সে ক্ষেত্রে বাদীকে ভয়ভীতি দেখানো বা মামলা প্রত্যাহারের চাপ দেওয়ার ঘটনা অহরহই ঘটছে। যেহেতু সমাজে নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা ক্রমাগত বাড়ছে, তাতে মামলাগুলোর বিচারকাজ দ্রুত হলে অপরাধপ্রবণতা কিছুটা কমত।নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ১-এর পাবলিক প্রসিকিউটর চন্দন কুমার তালুকদার প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরাও চাই নির্ধারিত সময়ে মামলার কাজ শেষ হোক। বেশির ভাগ মামলাতেই সাক্ষীরা ঠিকমতো হাজির হন না। আবার আসামিও পলাতক থাকে অনেক ক্ষেত্রে। সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ না হলে কিংবা আসামির অনুপস্থিতিতে বিচার না হলে ন্যায়বিচার ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়।’সাতক্ষীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে সরকারি কাজে বাধা ও ত্রাস সৃষ্টির অভিযোগে ১৭ আইনজীবীর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে পুলিশ। গত মঙ্গলবার ওই অভিযোগপত্র জমা দেওয়ার পর ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. ফকরুদ্দিনের অপসারণের দাবিতে বুধবার থেকে অনশন শুরু করেন আইনজীবীরা।একই দাবিতে আইনজীবীরা ১৮ নভেম্বর থেকে কর্মবিরতি, প্রতিবাদ সমাবেশ কর্মসূচি পালন করেন।জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা দুইটার দিকে আইনজীবীদের অনশনস্থল শহীদ মিনারে যান। এ সময় তিনি আইনজীবীদের আশ্বাস দেন, ওই বিচারককে সাতক্ষীরা থেকে প্রত্যাহার করা নিয়ে তিনি আইন প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবেন এবং বিষয়টি নিরসন করবেন।বিচারপ্রার্থী নারীদের হয়রানি ও অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন, আইনজীবীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার, অনিময়, দুর্নীতিসহ বিভিন্ন অভিযোগে ১৮ নভেম্বর বিচারক ফকরুদ্দিনের অপসারণের দাবিতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালত বর্জন করে আইনজীবীরা সমাবেশ করেন। ওই দিন বেলা ১১টার দিকে ফকরুদ্দিন পুলিশের পাহারায় এজলাসে বসেন। এ সময় ক্ষুব্ধ আইনজীবীরা আদালতে ঢোকার চেষ্টা করেন। পুলিশ বাধা দিলে ধস্তাধস্তিতে আদালত কক্ষের একটি জানালার কাচ ভেঙে যায়। এ ঘটনায় জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এম শাহ আলম, সাধারণ সম্পাদক আবদুস সাত্তারসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে সদর থানায় দ্রুত বিচার আইনে মামলা করেন ফকরুদ্দিন।সাতক্ষীরার সদর ইউনিয়নের কুশখালী ইউনিয়নের কুশখালী গ্রামের একটি কবরস্থান থেকে একটি পিস্তল ও দুটি ককটেল উদ্ধার করেছে বিজিবি। সাতক্ষীরার ৩৮ বিজিবির তলুইগাছা কোম্পানি কমান্ডার জহিরউদ্দিন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল সকালে কুশখালী স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এবি আব্দুল রহমানের বাড়ির পাশের কবরস্থান থেকে অস্ত্র ও ককলেট উদ্ধার করা হয়। সাতক্ষীরা ৩৮ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল ইমাম আহসান ঘটনা নিশ্চিত করেছেন। নিজস্ব প্রতিবেদক, সাতক্ষীরা। |
এশিয়ান অনূর্ধ্ব-১৪ টেনিস টুর্নামেন্টের দ্বিমুকুট জিতেছেন বাংলাদেশের আফরানা ইসলাম (প্রীতি)। রমনা টেনিস কমপ্লেক্সে কাল বালিকা এককের ফাইনালে আফরানা ৬-৩, ৬-৩ গেমে হারিয়েছে স্বদেশি রেবেকা সুলতানাকে। এরপর দ্বৈতের ফাইনালে শাহ সাফিনার সঙ্গে জুটি বেঁধে হারিয়েছে রেবেকা-সোমাকে। বালক দ্বৈতে চ্যাম্পিয়ন রুবেল হোসেন ও কাউসার আলী। ফাইনালে তারা ৬-৪, ৬-০ গেমে হারিয়েছে পাকিস্তানের সাহেবজাদা মোহাম্মদ আলী-ইফরানুল হককে। আজ বালক এককের ফাইনাল।চট্টগ্রাম নগর যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য হুমায়ুন কবির মুরাদ খুনের ঘটনায় অস্ত্রসহ এক যুবক গ্রেপ্তার হয়েছেন। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত আরও তিনজনের পরিচয় পেয়েছে পুলিশ। এই ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত খুলশী থানায় কোনো মামলা হয়নি।গ্রেপ্তার হওয়া যুবকের নাম রিয়াদ। তাঁর কাছ থেকে একটি পিস্তল ও একটি রিভলবার উদ্ধার করেছে পুলিশ। হত্যাকাণ্ডের কয়েক মিনিট পরই নগরের আমবাগান এলাকা থেকে ক্ষুব্ধ জনতা রিয়াদকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করে। তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ পাশের একটি ঘর থেকে অস্ত্রগুলো উদ্ধার করেছে। তবে হত্যাকাণ্ডে ধারালো কিরিচ ব্যবহার করে সন্ত্রাসীরা।পুলিশ সূত্র জানায়, পূর্বশত্রুতার জের ধরে মুরাদ খুন হন। প্রতিপক্ষের যুবকেরা গত সোমবার রাত পৌনে ১২টার দিকে খুলশী থানাধীন আমবাগান রেলক্রসিং এলাকায় এলোপাতাড়ি কুপিয়ে তাঁকে হত্যা করেন। হত্যাকারীরা রাজনৈতিক অস্থিরতার সুযোগ নিয়ে এই ঘটনা ঘটান বলে পুলিশ নিশ্চিত হয়েছে।খুলনার ডুমুরিয়ায় আওয়ামী লীগের এক নেতার নেতৃত্বে স্থানীয় এক পল্লি চিকিৎসকের তিনটি দোকান ভাঙচুর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার উপজেলার নোয়াকাঠি বাজারে এই ঘটনা ঘটে।এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সাহস ইউনিয়নের নোয়াকাঠি বাজারের সরকারি জমিতে পল্লি চিকিৎসক মোহামঞ্চদ আলী খানের তিনটি দোকান আছে।মোহাম্মদ আলী খান অভিযোগ করেন, বিগত ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন ও সম্প্রতি নোয়াকাঠি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সাহস ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও একই ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান শেখ আবদুল কুদ্দুসের সঙ্গে তাঁর বিরোধ চলছিল। সেই বিরোধের জের ধরে কুদ্দুসের নেতৃত্বে গতকাল ভোরে ২৫-৩০ জন লোক তাঁর তিনটি দোকান ভেঙে মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে। এতে তাঁর আট লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।তবে শেখ আবদুল কুদ্দুস জানান, ১০ মাস আগে ব্যবসায়ীদের সামনে মোহাম্মদ আলী বাজারের সরকারি জমি থেকে তাঁর ঘরগুলো ভেঙে নেওয়ার কথা দিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি তা না করায় ব্যবসায়ীরা তাঁর ঘর ভেঙে দিয়েছেন।ডুমুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আওলাদ হোসেন বলেন, এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সেলিম রেজা বলেন, বিরোধ মীমাংসার জন্য কয়েকবার চেষ্টা করেও সফল হননি।তাঁরা গুণে ভালো। ছোটবেলা থেকেই গুণ অঙ্ক দ্রুত মিলিয়ে ফেলতে পারতেন। তবে ভাগের বেলায় কেমন সেটা এখনো জানা যায়নি। তাঁরা যে গুণে ভালো, তার প্রমাণ তাঁদের নির্বাচনী হলফনামায় স্পষ্ট আছে। কেননা তাঁদের হলফনামা থেকে দেখা যাচ্ছে কেবল মৎস্যচাষ করেই একেক জনের টাকার পরিমাণ বেড়েছে কয়েক গুণ। যোগের ধারেকাছেও নেই তাঁরা। এই মৎস্যচাষী ভাইয়েরা যোগের বদলে গুণেই বেশি আস্থা রাখেন এবং গুণেই তাঁরা সিদ্ধহস্ত! এমন গুণীজনই তো চেয়েছিলাম আমরা!গোলাম মওলা রনি, সাবেক সাংসদএই গোলাম সেই গোলাম নাক্যারিকেচার: শিখা |
মীনা আপু, রেডিওতে তোমাদের অনুষ্ঠানটা শুনেই বন্ধুদের জানাই। তারাও এখন অনুষ্ঠানটি শুনতে আমার বাড়িতে আসে। প্রতি শুক্রবার আমি এই অনুষ্ঠানের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পোস্টারে বিভিন্ন টিপস লিখি। বেলা দুইটা থেকে চারটা পর্যন্ত বাড়ি বাড়ি হেঁটে মানুষকে বোঝাই। মীনা আপু, জানি না, এই চিঠি তোমরা হাতে পাবে কি না। কারণ, প্রায় পাঁচ কিলোমিটার হেঁটে গিয়ে চিঠিটা বিলি করব।’এই চিঠি মীনাকে লিখেছে সুনামগঞ্জের শোল্লাপাড়ার শাহিদুর রহমান। সারা দেশ থেকে প্রতি সপ্তাহে এ রকম অসংখ্য চিঠি আসে মীনার কাছে। সেগুলো থেকে বাছাই করে কিছু চিঠি মীনা পড়ে শোনায়। বলছিলাম, বাংলাদেশ বেতারে প্রচারিত ‘আমি মীনা বলছি’ অনুষ্ঠানটির কথা। প্রতি শুক্রবার সকাল ১০টা ১৫ মিনিট থেকে ১১টা ২০ মিনিট পর্যন্ত অনুষ্ঠানটি প্রচারিত হয়।মীনার সঙ্গে অবধারিতভাবেই থাকে তার ছোট্ট ভাই রাজু ও আদরের টিয়াপাখি মিঠু। প্রতি সপ্তাহে একটি নির্দিষ্ট বিষয় নিয়ে অনুষ্ঠানটি প্রচারিত হয়। এ পর্যন্ত অনুষ্ঠানের ২৫টি পর্ব প্রচারিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের অংশগ্রহণও থাকে। আর থাকেন একজন বিশেষজ্ঞ। শ্রোতাদের কাছে যেটি আকর্ষণীয়, সেটি হচ্ছে কুইজ, চিঠির উত্তর ও ফোনো ইন।প্রতি সপ্তাহে মীনা প্রচারিত অনুষ্ঠান সম্পর্কে একটি প্রশ্ন করে। আহ্বান থাকে সেই কুইজের উত্তর দেওয়ার।ফোনো ইনে মীনা, রাজু, মিঠুর সঙ্গে শ্রোতারা সরাসরি কথা বলতে পারে। মীনা তাদের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলে।‘আমি মীনা বলছি’র আকর্ষণীয় বিষয় শ্রোতাদের পাঠানো চিঠির উত্তর দেওয়া। অনুষ্ঠানটি কতটা জনপ্রিয়, সেটা বোঝা যায় চিঠিগুলো পড়ে।এই যেমন একটি চিঠি এখানে উল্লেখ করতে পারি। চিঠিটি লিখেছেন শিকদার ইসাহাক আলী। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জের শ্রোতা। ৩১ আগস্টের চিঠিতে তিনি জানিয়েছেন, ‘আমি মীনা বলছি ভীষণ ভালো লাগছে। জানতে পারছি বিচিত্র তথ্য। অনুষ্ঠান আকর্ষণীয় করতে আরও অনেক প্রস্তাব গ্রহণ করতে পারেন।’ তারপর তিনি চিঠিতে বেশ কটি পরামর্শ দিলেন।অনুষ্ঠানটির প্রযোজনা সহকারী মনির হোসেন বলেন, ‘শিকদার ইসাহাক আলী দৃষ্টি প্রতিবন্ধী। তিনি নিয়মিতই অন্যকে দিয়ে চিঠি লিখিয়ে সেটা পাঠান। শুধু তিনি একা নন, এ রকম আরও অনেক শ্রোতা আছে, যারা অনেক কষ্ট করে চিঠি পাঠায়। চিঠিগুলো পড়ে অসাধারণ অভিজ্ঞতা হয়। যেমন কেউ এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রামে গিয়ে চিঠি পোস্ট করে; কেউ অনুরোধ করে, চিঠিটি একটু পড়বেন, এক ঘণ্টার রাস্তা হেঁটে তারপর চিঠি ডাকে ছেড়েছি; কেউ হয়তো বলে, একটি চিঠি পাঠাতে ৪০ টাকা খরচ হয় যাতায়াতসহ, একটু পড়বেন চিঠিটা। এত আবেগপ্রবণ চিঠির ভিড়ে মাঝেমধ্যেই আমি আপ্লুত হয়ে পড়ি।’তেমনই একটি চিঠি লিখেছেন সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরের সাচায়নী গ্রামের শেখর আচার্য্য। তিনি লিখেছেন, ‘আপনারা নিশ্চয় জানেন, আমি অসুস্থ মানুষ। তাই ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও নিয়মিত লেখা পাঠাতে পারি না। প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দূরে উপজেলা সদরে ১০০ টাকা রিকশাভাড়া দিয়ে এসে চিঠি পাঠাতে আমার খুব কষ্ট হয়। তারপর চিঠিটা পড়া কষ্টটা মধুর হয়ে যায়।’নরসিংদীর কাঁচিকাটা গ্রামের ইকবাল হোসেন লিখেছেন, ‘প্রিয় মীনা, মিঠু ও রাজু, তোমাদের জানাই সাদা মেঘ আকাশে উড়ে যাওয়া দেখার শুভেচ্ছা। আমি তোমাদের অনুষ্ঠান প্রথম পর্ব থেকে নিয়মিতভাবে শুনে আসছি। আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। মীনা এই অনুষ্ঠানে যৌতুকের কুফল নিয়ে একটি পর্ব প্রচার করার জন্য অনুরোধ করছি।’সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ থেকে রকি ভাই বেতার শ্রোতা সংঘ থেকে ওমর ফারুক, নাজমুল, নাসরিন ও মারুফ লিখেছে, ‘সুফলা-সুজলা, শস্য-শ্যামলা পল্লির দূরদূরান্ত থেকে তোমাদের জানাই লাল গোলাপের শুভেচ্ছা। আমরা অনেক ছোট। সপ্তম শ্রেণীতে পড়ি। রাজু, তুমি কোন শ্রেণীতে পড়ো? তুমি কি নিয়মিত স্কুলে যাও? মীনা আপু, তোমার মাধ্যমে বলতে চাই, শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড। শিক্ষা ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। যাঁরা এই মুহূর্তে শুনছেন, তাঁরা সকলে আপনার সন্তানদের স্কুলে পাঠান।’নরসিংদীর বেলাব থেকে অনুসন্ধান বেতার শ্রোতা সংঘের আকতার হোসেন চিঠিতে পাঠিয়েছেন একটি কবিতা। ‘সবার জন্য শিক্ষা চাই, ধনী-গরিব ভেদাভেদ নাই/ শিক্ষা মোদের জ্ঞানের সাথী, অন্ধকারে জ্বালায় বাতি।...’কারও কারও চিঠিতে অভিমানের ছোঁয়া পাওয়া যায়। নড়াইল লোহাগড়ার লাহুড়িয়া পশ্চিমপাড়া থেকে সাগরিকা আক্তারও তেমনই একটি চিঠি পাঠায়। ‘আমি তোমাদের অনুষ্ঠান নিয়মিত শুনি। আমি তোমাদের অনেক ভালোবাসি। আমি পঞ্চম পর্ব থেকে কুইজের সঠিক উত্তর লিখে পাঠাই। কিন্তু একটারও উত্তর পাচ্ছি না। তবে কি তোমরা আমাকে ভালোবাসো না?’ঝিনাইদহের শৈলকুপার বাগুটিয়া থেকে তাজনীন নাহার লিখেছে, ‘গত অনুষ্ঠানে কথা হয়েছে প্রাকৃতিক দুর্যোগ নিয়ে। কিছুদিন আগে আমাদের গ্রামে প্রচণ্ড ঝড়ের সময় বজ্রপাতে তিনটি শিশুর মৃত্যু হয়। এসো, সবাই তাদের জন্য দোয়া করি।’এত এত চিঠি। অথচ তার সিকি ভাগই হয়তো পড়া হয় সময়স্বল্পতার জন্য। কিন্তু সব কটি চিঠির বার্তা অনুষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত, সবার হূদয় স্পর্শ করে। সে কথাই জানালেন মীনা চরিত্রে কণ্ঠদানকারী ফারজানা ইসলাম। তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন বয়সের মানুষ চিঠি পাঠান। কারও কারও বয়স সাত বা আট। আবার স্কুলের প্রধান শিক্ষকেরাও আমার কাছে চিঠি পাঠান। সবাই নিজেদের মনের কথাগুলো বলার একটা প্ল্যাটফরম পেয়েছেন। এটা ভেবে খুব আনন্দ হয়। মাঝেমধ্যে মনে হয়, গ্রামের মানুষগুলোর চাওয়া কত অল্প। তবে খারাপ লাগে, যখন সময়স্বল্পতার কারণে চিঠিগুলো পড়তে পারি না। তবে ভাবতে ভালো লাগে এই ভেবে যে শ্রোতারা অপেক্ষায় থাকেন মীনার কণ্ঠে “বন্ধুরা, ভালা থাইক্যো” শোনার জন্য।’অনুষ্ঠানে রাজুর চরিত্রে কণ্ঠ দিচ্ছে আবরার সাজিদ ও মিঠুর চরিত্রে কামাল আহসান।কথা হলো বেতারের উপপরিচালক জুলফিকার রহমান কোরাইশীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘“আমি মীনা বলছি” অনুষ্ঠানটির গ্রহণযোগ্যতা কত বেশি, সেটি বোঝা যায় ফোনকল আর চিঠির পরিমাণ দেখে। প্রতি সপ্তাহে প্রায় ৩০০ চিঠি আসে। মীনা কার্টুন দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশে বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচারিত হয়েছে। এ দেশে এর জনপ্রিয়তা অনেক বেশি। আর বাংলাদেশ বেতারের “আমি মীনা বলছি” একটি বড় ভূমিকা পালন করছে বলে ভালো লাগছে।’নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ ও কবিরহাট উপজেলা সীমান্তের পাটোয়ারীর হাটসংলগ্ন একটি নূরানী মাদ্রাসা ও পার্শ্ববর্তী বাড়িতে যুবলীগ কর্মীদের হামলা-ভাঙচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত সোমবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।হামলাকারীরা এ সময় মাদ্রাসার ভেতর থেকে আসবাবপত্র ও বইপত্র বাইরে এনে অগ্নিসংযোগ করে। এ ছাড়া একই সময় দুটি মোটরসাইকেল আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়। খবর পেয়ে উভয় থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলেও হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কোম্পানীগঞ্জ ও কবিরহাট উপজেলার সীমান্তবর্তী চাপরাশিরহাট বাজারের তিন যুবলীগ কর্মী পাটোয়ারী হাট এলাকায় গেলে স্থানীয় বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের কর্মীদের সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয়। এ ঘটনার পর ওই তিন যুবলীগ কর্মী সেখান থেকে চলে এসে এলাকায় এ ঘটনা জানান। এরপর রাত আটটার দিকে চাপরাশিরহাট এলাকা থেকে যুবলীগের কর্মীরা সংঘবদ্ধ হয়ে পাটোয়ারী হাটসংলগ্ন জামায়াত-সমর্থক হেলাল হুজুর পরিচালিত দারুল উলুম নূরানী মাদ্রাসায় হামলা চালায়। হামলাকারীরা এ সময় মাদ্রাসার ভেতর থেকে বইপত্র ও আসবাবপত্র বাহিরে এনে আগুন ধরিয়ে দেয়। একই সময় সেখানে থাকা হেলাল হুজুরের একটিসহ দুটি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ এবং পার্শ্ববর্তী নুরুল আমিন মুন্সীর বাড়ির সাতটি বসতঘরে হামলা-ভাঙচুর চালায়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় একাধিক বাসিন্দা অভিযোগ করেন, সংঘাত বুঝতে পেরে তাঁরা উভয় থানার পুলিশকে ঘটনাটি জানিয়েছিলেন; কিন্তু তাঁরা ঘটনাস্থলে এসে ঘুরে গেলেও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় শেষ পর্যন্ত বাড়িঘরও হামলার শিকার হয়।কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এস এম মাহবুবুল আলম বলেন, বিএনপি-জামায়াতের বিরোধের জের ধরে একটি মক্তবের মালামাল বাইরে অগ্নিসংযোগ করেছে বিএনপির লোকজন।অন্যদিকে, কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহামঞ্চদ সাজেদুর রহমান বলেন, যুবলীগের লোকজন কবিরহাট থানা এলাকার একটি নূরানী মাদ্রাসায় হামলা ও আসবাপত্রে অগ্নিসংযোগের কথা তিনি শুনেছেন। ঘটনাটি তাঁর থানার মধ্যে না পড়ায় পুলিশ গিয়ে ফিরে আসে। কবিরহাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র জহিরুল হক রায়হান দাবি করেন, ‘ঘটনার সঙ্গে যুবলীগের কেউ জড়িত নন।গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলায় আলম মোল্লা (২৫) নামের এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। গত বুধবার গভীর রাতে উপজেলার বাটৈধোপা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, বাটৈধোপা গ্রামের মতিয়ার রহমান মোল্লার ছেলে আলম বুধবার রাতে নিজ বাড়িতে একা ঘুমিয়েছিলেন। রাতের কোনো এক সময় সন্ত্রাসীরা সিঁধ কেটে ঘরে ঢুকে তাঁকে কুপিয়ে হত্যা করে।কাশিয়ানী থানার ওসি মনিরুল ইসলাম জানান, বাটৈধোপা গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে দুটি পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলছিল। এর জের ধরে প্রতিপক্ষ তাঁকে হত্যা করে থাকতে পারে। তবে অন্য বিষয়গুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্ত শেষে হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত কারণ জানা যাবে।রংপুর নগরের ধর্মদাস এলাকায় গত শনিবার রাতে বৈদেশিক আর্থিক সহযোগিতায় পরিচালিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ইউসিইপির (আন্ডার প্রিভিলেজড চিলড্রেন এডুকেশন প্রোগ্রামস) কার্যালয়ে ডাকাতি হয়েছে। ডাকাতেরা এ কার্যালয় থেকে প্রায় ২৫ লাখ টাকার মালামাল লুট করেছে।ইউসিইপি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ২০-২৫ জনের একদল ডাকাত ওই কার্যালয়ের তিনজন নৈশপ্রহরীকে বেঁধে ফেলে। পরে তারা বেশ কয়েকটি কক্ষের দরজার তালা ভেঙে ডাকাতেরা ২০টি কম্পিউটার, তিনটি প্রিন্টার, একটি ফটোস্ট্যাট মেশিন, দুটি ক্যামেরা ও একটি মোটরসাইকেলসহ প্রায় ২৫ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।কর্তব্যরত নৈশপ্রহরী মোকসেদ আলী বলেন, ‘রাত দেড়টার সময় ২০-২৫ জন মুখোশধারী ডাকাত একযোগে প্রাচীর টপকে ভেতরে প্রবেশ করে। পরে তারা আমাদের তিনজনকে বেঁধে রেখে বেশ কয়েকটি কক্ষের তালা ভেঙে মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।’ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ইউসিইপি রংপুর বিভাগীয় কার্যালয়ের আঞ্চলিক সমন্বয়কারী এস এম শামীম আহসান জানান, রাতে তিনজন নৈশপ্রহরী দায়িত্ব পালন করছিলেন। তাঁদের হাত-পা বেঁধে রেখে ডাকাতেরা এসব মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মিজানুর রহমান জানান, এ ব্যাপারে প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে। |
সপ্তম রাউন্ড শেষে শীর্ষে উঠে এলেন গ্র্যান্ডমাস্টার জিয়াউর রহমান। সাত ম্যাচে ছয় পয়েন্ট জিয়ার। গ্র্যান্ড মাস্টার আবদুল্লাহ আল রাকিব ও মিনহাজউদ্দিন সাগর সাড়ে পাঁচ পয়েন্ট করে নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন। অলিম্পিক ভবনে কাল সপ্তম রাউন্ডে জিয়া আমিনুল ইসলামকে, রাকিব মিনহাজউদ্দিনকে, এনামুল হোসেন রাজীব দেবরাজ চ্যাটর্জিকে হারিয়েছেন। গ্র্যান্ডমাস্টার নিয়াজ মোরশেদ ড্র করেছেন নাসির আহমেদের সঙ্গে।চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা জামায়াতের আমির জাফর সাদেককে কারাগার থেকে মুক্তির ২০ ঘণ্টা পর ফের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে জাফর সাদেককে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক। তবে তাঁর জামিন আবেদনের শুনানি হয়নি। গত ২৫ এপ্রিল পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে যান তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে ১১টি মামলা রয়েছে। সর্বশেষ আরেকটি ভাঙচুরের মামলা যোগ হলো তাঁর বিরুদ্ধে।চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার বনজ কুমার মজুমদার প্রথম আলোকে বলেন, ‘জামায়াতের নেতা জাফর সাদেককে নগর গোয়েন্দা ও পাঁচলাইশ থানার পুলিশ কারা ফটক থেকে গত সোমবার সন্ধ্যায় আটক করেছে। বর্তমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে তিনি নাশকতার পরিকল্পনা করতে পারেন বলে পুলিশের কাছে তথ্য রয়েছে। নগরের পাঁচলাইশ থানার একটি ভাঙচুরের মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।’মহানগর হাজতখানার ইনচার্জ এসআই জমির উদ্দিন জানান, পাঁচলাইশ থানার একটি ভাঙচুরের মামলায় জামায়াতের নেতা জাফর সাদেককে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। তাঁকে গতকাল বিকেলে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার মিরুখালী বাজারে গত বুধবার রাতে অগ্নিকাণ্ডে ২৮টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান পুড়ে গেছে। রাত আড়াইটার দিকে স্বর্ণকার পট্টির রণজিৎ শীলের মুদি দোকানের বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। মঠবাড়িয়া ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে তিন ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) প্রতিনিধিফরিদপুরে বোয়ালমারী উপজেলার সাতৈর ইউনিয়নের সাতৈর গ্রামে গতকাল রোববার সকালে খেজুর রসে ভেজানো পিঠা খেয়ে আবু হুরাইরা (৩) এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সে গ্রামের ওবায়দুর রহমানের ছেলে। সূত্র জানায়, শিশুটি শনিবার রাতে তেহারি ও খেজুর রসে ভেজানো পিঠা খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। গতকাল ভোরে তার পেটে তীব্র্র ব্যথা হয়। উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নেওয়া হলে পথেই শিশুটি মারা যায়। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা মো. ফরিদ হোসেন বলেন, খাদ্যে বিষক্রিয়া অথবা গ্যাসজনিত কারণে শিশুটির মৃত্যু হতে পারে। ফরিদপুর অফিস। |
দেশে নিজের দলের সহসভাপতির মন্তব্য তাঁকে যারপরনাই অপমানিত করলেও ওয়াশিংটনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক ভারতের প্রধানমন্ত্রীর ঝুলি কিন্তু সসম্মানে ভরিয়ে তুলল। হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে টানা তিন ঘণ্টার বৈঠকের পর কূটনৈতিক প্রটোকলের ঘেরাটোপ ছেড়ে বেরিয়ে প্রেসিডেন্ট ওবামা হোয়াইট হাউসের পোর্টিকোতে নেমে বিদায় জানালেন মনমোহন সিংকে। হোয়াইট হাউসের ইতিহাসের সঙ্গে রিচিতদের ভাষায় যা কিনা ‘বিরলের মধ্যে বিরলতম’ ঘটনা। শুধু সম্মানই নয়, মনমোহন এই প্রতিশ্রুতিও আদায় করে নিয়েছেন যে পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের সঙ্গে ওবামা সে দেশে সন্ত্রাসীদের রাষ্ট্রীয় মদদ ও যাবতীয় প্রশ্রয় দেওয়ার বিষয় নিয়ে খোলাখুলি কথা বলবেন। ওবামাকে মনমোহন এটা বোঝাতে পেরেছেন যে সন্ত্রাসের মোকাবিলার ওপরই নির্ভর করছে ভারত-পাকিস্তান আলোচনার ভবিষ্যৎ। মার্কিন প্রেসিডেন্টকে মনমোহন দৃঢ়তার সঙ্গে বলেছেন, ‘পাকিস্তানই হলো সন্ত্রাসীদের আঁতুড়ঘর’। তিনি এ কথাও স্পষ্ট বলে দিয়েছেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে (জম্মু-কাশ্মীরে সাম্প্রতিকতম সন্ত্রাসী হামলা সর্বশেষ নিদর্শন) নওয়াজ শরিফের সঙ্গে বৈঠক থেকে বিশেষ কিছু আশা করা ঠিক হবে না। ওবামা-মনমোহন বৈঠকে যে বিষয়গুলো বড় হয়ে উঠে এসেছে, সেগুলোর মধ্যে সন্ত্রাসবাদ ছিল নিঃসন্দেহে প্রধান বিষয়। বস্তুত, এই দ্বিপক্ষীয় আলোচনার পর দুই দেশের পক্ষ থেকে যে যৌথ বিবৃতি প্রকাশিত হয়, তাতেও সন্ত্রাসই ছিল প্রধান। বিভিন্ন সূত্রের খবরে প্রকাশ, মনমোহনের কাছে ওবামা স্বীকার করেছেন, পাকিস্তানে ঘাঁটি গাড়া লস্কর-এ-তৈয়বা, যারা মুম্বাইয়ে ২৬/১১-র জন্য দায়ী, তারা গোটা বিশ্বের জন্যই ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। যৌথ বিবৃতিতে এর উল্লেখ করে বলা হয়েছে, আল-কায়েদা ও লস্কর-এ-তৈয়বাকে ঝাড়ে-বংশে শেষ করতে হবে। ওবামার সঙ্গে মনমোহনের এটা ছিল তৃতীয় দ্বিপক্ষীয় বৈঠক। এই বৈঠক শেষে প্রথামাফিক শুধু একটি যৌথ বিবৃতিই প্রকাশ করা হয়নি, প্রতিরক্ষা সহযোগিতার বিভিন্ন ক্ষেত্রে একটি যৌথ ঘোষণাপত্রও দেওয়া হয়েছে। যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক গত ৬৭ বছরে এত ভালো অবস্থায় কখনো পৌঁছায়নি। নিরাপত্তা সহযোগিতা, বাণিজ্য, বিনিয়োগ, শক্তি ও বিদ্যুৎ, পরিবেশ, উচ্চশিক্ষা সব ক্ষেত্রে আগামী দশকে এই সম্পর্ককে এক অন্য উচ্চতায় প্রতিষ্ঠা করা হবে। যৌথ বিবৃতির মতোই ভারতের পক্ষে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরক্ষা সহযোগিতার ক্ষেত্রে যৌথ ঘোষণা। এই সহযোগিতা শুধু একতরফা মার্কিন বাণিজ্য নয়, প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি হস্তান্তর, বাণিজ্য, গবেষণা ও প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের যৌথ গবেষণা ও উৎপাদনও রয়েছে।কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার হলদিয়াপালং ইউনিয়নের পশ্চিম রুমখাপালং গ্রামে পুলিশ গতকাল মঙ্গলবার ভোররাতে অভিযান চালিয়ে সাতজন মালয়েশিয়াগামী যাত্রীকে আটক করেছে।তাঁরা হলেন নাটোরের ঝাউপাড়ার শহিদুল ইসলাম (২৫), জয়নাল মণ্ডল (২৬), বোরহান উদ্দিন মণ্ডল (২৬), সাইফুল ইসলাম (২৮), যশোরের ঝিকরগাছার আবু রায়হান (২৫), মা. বাবুল (২৮) ও আলাউদ্দিন (২৫)। ওই গ্রামের এক বাড়ি থেকে ভোররাত চারটার দিকে সমুদ্র উপকূলের ইঞ্জিন নৌকায় ওঠানোর সময় উখিয়া থানার উপপরিদর্শক শ্যামল কান্তি দাশ তাঁদের আটক করেন। আলাউদ্দিন ও শহিদুল ইসলাম বলেন, মাথাপিছু ৪০ হাজার টাকা করে হাতিয়ে নিয়ে মালয়েশিয়া পাঠানোর জন্য দালাল চক্র তাদের উখিয়া উপকূলে নিয়ে আসে। এরপর গভীর সাগরে অপেক্ষমাণ থাইল্যান্ডের পণ্যবাহী জাহাজে তুলে দেওয়ার জন্য ইঞ্জিন নৌকায় ওঠানোর সময় পুলিশের হাতে ধরা পড়েন। এর আগে দালাল চক্র পালিয়ে যায়। উখিয়া থানার ওসি গিয়াস উদ্দিন মিয়া বলেন, এ ব্যাপারে মামলা রুজু করা হয়েছে। ফরিদপুর সদর উপজেলার রণকাইল গ্রামে প্রতিপক্ষের হামলায় তিনজন আহত হয়েছেন। গত বুধবার রাতে ওই গ্রামের ফজলু কাজীর বাড়িতে আয়োজিত ওয়াজ মাহফিলে গেলে ওই বাড়ির লোকজন একই গ্রামের মান্নানের ছেলে শাহীনের ওপর হামলা চালান। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে ফজলু কাজীর বাড়ির লোকজনের হামলায় মান্নানের পক্ষের মাজেদ ও সামাদ আহত হন। ফরিদপুর অফিসনুরুন নাহারদৈনিক ইনকিলাব-এর নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলা সংবাদদাতা কাজী ফখরুল ইসলামের মা নুরুন নাহার (৬৫) গতকাল রোববার বেলা দেড়টার দিকে নিজ বাড়িতে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি চার ছেলে, তিন মেয়েসহ অনেক আত্মীয়স্বজন রেখে গেছেন। তাঁর লাশ উপজেলার ডমরুয়া ইউনিয়নের মতইন গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। নোয়াখালী অফিস।ময়েন উদ্দিন সিকদারপুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি দিদার আহমেঞ্চদের বাবা ময়েন উদ্দিন সিকদার (৯৭) গত শনিবার রাতে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি স্ত্রী, ছয় ছেলে, এক মেয়েসহ অনেক গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। গতকাল রোববার বাদ আসর গোপালগঞ্জ কোর্ট মসজিদে জানাজা শেষে তাঁর মরদেহ দাফন করা হয়। গোপালগঞ্জ প্রতিনিধিমো. আবদুল জলিলরূপালী ব্যাংক কর্মচারী ইউনিয়নের (সিবিএ) সভাপতি মো. আবদুল জলিল (৫৮) গত শনিবার ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি স্ত্রী, চার ছেলেসহ অনেক গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। বিজ্ঞপ্তি।ননী গোপাল দত্তস্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা প্রবল কুমার দত্তের বাবা ননী গোপাল দত্ত (৭৪) গত শনিবার রাতে পরলোকগমন করেছেন। তিনি স্ত্রী, চার ছেলে, দুই মেয়ে, নাতি-নাতনিসহ অনেক গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। বিজ্ঞপ্তি। |
বিএসজেএ মিডিয়া কাপ ক্রিকেটের ফাইনাল আজ। বেলা ১১টায় ফাইনাল, তার আগে হবে দুটি সেমিফাইনাল। সেমিফাইনাল লাইনআপটা এ রকম—চ্যানেল নাইন বনাম সমকাল এবং রাইজিংবিডি বনাম কালের কণ্ঠ। কাল কোয়ার্টার ফাইনালে কালের কণ্ঠ জিটিভিকে, রাইজিংবিডি মাছরাঙাকে, চ্যানেল নাইন ডেইলি স্টারকে এবং সমকাল রেডিও টুডেকে হারিয়েছে।সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারী ইউনিয়নের জাহানাবাদ গ্রামের নেভি গেট এলাকার পাহাড়ের কাছ থেকে অজ্ঞাতনামা যুবকের (৩০) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে লাশটি উদ্ধারের পর সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। সুরতহাল প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, যুবকটির গলায় ফাঁসের চিহ্ন আছে।সীতাকুণ্ড থানার উপপরিদর্শক মেজবাহ উদ্দীন বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, ওই যুবককে হত্যার পর লাশটি ফেলে রাখা হয়েছে।বিরোধীদলীয় জোটের টানা ৭১ ঘণ্টার অবরোধে মানুষ হত্যাসহ বিভিন্ন সহিংসতায় নিন্দা ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ। গতকাল বৃহস্পতিবার সংগঠনের সভাপতি আয়শা খানম ও সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু এক যুক্ত বিবৃতিতে বলেন, বিরোধীদলীয় জোটের টানা ৭১ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচিতে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নামে দেশব্যাপী মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা, ককটেল বিস্ফোরণ, রেললাইন তুলে ফেলা, বগিতে আগুনসহ নানা নাশকতামূলক সহিংস কর্মকাণ্ড ঘটছে। এতে রাষ্ট্র ও সাধারণ মানুষের আর্থিক ও মানবিক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে সীমাহীন।বিবৃতিতে তাঁরা বলেন, একটি স্বাধীন উন্নয়নশীল গণতান্ত্রিক দেশের কোনো আন্দোলনের পদ্ধতি এমন সামগ্রিক ধ্বংসাত্মক না হওয়াই বাঞ্ছনীয়। এ ধরনের কর্মপদ্ধতিতে রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক ও মানবিক ক্ষতি সংঘটিত হয়, যা পৃথক করা যায় না। বর্তমানে উদ্ভূত পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য সংলাপ-সমঝোতার উদ্যোগ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তাঁরা। বিবৃতিতে এ বিষয়ে তাঁরা নির্বাচন কমিশনকেও উদ্যোগী হওয়ার অনুরোধ জানান।আজ ৩০ ডিসেম্বর। এই তারিখে জন্মগ্রহণ করায় পাশ্চাত্যমতে আপনি মকর রাশির জাতক-জাতিকা। আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ সংখ্যা ৩ ও ৮। গুরুত্বপূর্ণ দিন বৃহস্পতি ও শনিবার। শুভ রং—সোনালি, জলপাই সবুজ, চকলেট। শুভ রত্ন—গোল্ডেন টোপাজ, অ্যামিথিস্ট। বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব—রুডইয়ার্ড কিপলিং, লেখক থিওডোর ফনটেন, দিলারা হামিদ। এবার চলুন জেনে নেওয়া যাক আপনার রাশিতে আজকের পূর্বাভাস:মেষ (২১ মার্চ-২০ এপ্রিল)ব্যবসায়িক পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য দিনটি শুভ। ফেসবুক দেখুন—কারও হেঁয়ালিপূর্ণ মন্তব্যের আড়ালে লুকিয়ে থাকতে পারে প্রেমের পরোক্ষ আহ্বান। রাজনীতিতে আপনার পরিচিতি বৃদ্ধি পেতে পারে। আর্থিক লেনদেন শুভ।বৃষ (২১ এপ্রিল-২১ মে)ব্যবসায় নতুন বিনিয়োগ আশার সঞ্চার করবে। পারিবারিক সমস্যার সমাধানে আপনার উদ্যোগ ফলপ্রসূ হতে পারে। ভেঙে যাওয়া প্রেমের সম্পর্ক জোড়া লাগতে পারে। আজ আকস্মিকভাবে অর্থপ্রাপ্তির সম্ভাবনা আছে।মিথুন (২২ মে-২১ জুন)শিক্ষাক্ষেত্রে কারও কারও বৃত্তি পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। ব্যবসায়িক ভ্রমণ ফলপ্রসূ হতে পারে। ফেসবুকে কারও সঙ্গে মতবিনিময়ের মধ্য দিয়ে মন দেওয়া-নেওয়ার সূচনা হতে পারে। আজ আপনার অর্থভাগ্য বিশেষ শুভ।কর্কট (২২ জুন-২২ জুলাই)ব্যবসায় আগের ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার সুযোগ পাবেন। পারিবারিক সমস্যার সমাধানে কোনো মুরব্বির পরামর্শ নিতে পারেন। সামাজিক কর্মকাণ্ডে ব্যস্ততা বৃদ্ধি পেতে পারে। প্রেমবিষয়ক জটিলতার অবসান হবে।সিংহ (২৩ জুলাই-২৩ আগস্ট)সৃজনশীল কর্মকাণ্ডের সুবাদে বিদেশযাত্রার সুযোগ আসতে পারে। বেকারদের কেউ কেউ আজ নতুন কাজের সন্ধান পাবেন। প্রবাসী কারও সঙ্গে প্রেমের সূচনা হতে পারে। কোনো গোপন শত্রুর পরিচয় জানা যেতে পারে।কন্যা (২৪ আগস্ট-২৩ সেপ্টেম্বর)ব্যবসায়িক ভ্রমণ ফলপ্রসূ হতে পারে। পারিবারিক সমস্যার সমাধানে আপনার উদ্যোগ ফলপ্রসূ হতে পারে। বৈদেশিক যোগাযোগ শুভ। প্রেমের ব্যাপারে ইতিবাচক সাড়া পেতে পারেন। দূরের যাত্রার সতর্ক থাকুন।তুলা (২৪ সেপ্টেম্বর-২৩ অক্টোবর)ব্যবসায়িক যোগাযোগ শুভ। বেকারদের কারও কারও কর্মসংস্থান হতে পারে। বিদেশযাত্রার ক্ষেত্রে নতুন সুযোগ আসতে পারে। পেশাগত দ্বন্দ্বের অবসান হবে। প্রেমে সাফল্যের দেখা পেতে পারেন।বৃশ্চিক (২৪ অক্টোবর-২২ নভেম্বর)ব্যবসায়িক ভ্রমণ ফলপ্রসূ হতে পারে। পারিবারিক সমস্যার সমাধানে আপনার উদ্যোগ ফলপ্রসূ হতে পারে। আজ আকস্মিকভাবে অর্থপ্রাপ্তি ঘটতে পারে। প্রেমের ব্যাপারে ইতিবাচক সাড়া পাবেন। দূরের যাত্রা শুভ।ধনু (২৩ নভেম্বর-২১ ডিসেম্বর)চাকরিতে কারও কারও পদোন্নতি-সংক্রান্ত জটিলতার নিষ্পত্তি হতে পারে। আজ কারও প্রেমের আহ্বানে সাড়া দিতে হতে পারে। সৃজনশীল কাজের স্বীকৃতি পাবেন। জমিজমা-সংক্রান্ত বিরোধের নিষ্পত্তি হতে পারে।মকর (২২ ডিসেম্বর-২০ জানুয়ারি)কর্মস্থলে আজ আপনার কাজের যথাযথ মূল্যায়ন হবে। বেকারদের কেউ কেউ নতুন কাজের সন্ধান পাবেন। পাওনা আদায়ে প্রভাবশালী কারও সহযোগিতা পেতে পারেন। প্রেমবিষয়ক জটিলতার অবসান হবে।কুম্ভ (২১ জানুয়ারি-১৮ ফেব্রুয়ারি)ব্যবসায়িক পরিমণ্ডলে আজ আপনার সুনাম বৃদ্ধি পেতে পারে। পাওনা আদায়ে বলপ্রয়োগ নয়, বরং কৌশল অবলম্বন করুন। ফেসবুকে কারও দেওয়া তথ্য আপনাকে প্রেমের ব্যাপারে উৎসাহী করতে পারে।মীন (১৯ ফেব্রুয়ারি-২০ মার্চ)শিক্ষা কিংবা গবেষণার জন্য সম্মাননা পেতে পারেন। পরিবারের কারও রোগমুক্তিতে আপনার মানসিক অস্থিরতা দূর হতে পারে। প্রবাসী কারও সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠতে পারে। রাজনৈতিক তৎপরতা শুভ। |
এই কিছুদিন আগে, আমার বন্ধুর বড় বোন খুব অসুস্থ ছিলেন। ডাক্তার আমাদের জানালেন, তাঁকে বাঁচাতে হলে রক্তের প্রয়োজন। কিন্তু কোথাও তাঁর গ্রুপের রক্ত পাওয়া যাচ্ছিল না। মুহূর্তেই মনে হলো, আমিই দিই না কেন! আমার জন্য একটা মানুষের প্রাণ বাঁচবে। রক্ত দিলাম। পরে এত ভালো লাগল! এ রকম ভালো কাজ করলে আমার সব সময়ই খুব ভালো লাগে।’ কথাগুলো বলছিলেন শারমিন সুলতানা। বাবা-মা আদর করে তাঁকে সেতু নামেই ডাকেন। যেখানেই কারও বিপদ দেখেন, শারমিন সেখানেই দৌড়ে যান। আশপাশের লোকজনেরও তাঁর ওপর ভরসা অনেক। তাঁর চরিত্রের এই দিকটি অনেকাংশেই মিলে যাচ্ছে আমাদের প্রিয় কার্টুন চরিত্র মীনার সঙ্গে। শুধু এটুকুতেই থেমে থাকেনি। মীনার বয়সের সঙ্গেও যে শারমিনের আশ্চর্য মিল! এ বছর শারমিনের বয়স হলো ২১ বছর।২৪ সেপ্টেম্বর মীনা দিবস উপলক্ষে মীনাকে নিয়ে শারমিনের ভাবনা জানতেই ২১ সেপ্টেম্বর হাজির হয়েছিলাম তাঁর কলেজে। শারমিন সুলতানা ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে আর্কিটেকচার বিভাগে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে পড়ছেন। জিজ্ঞেস করলাম, মীনা কার্টুনটি দেখা শুরু করলেন কবে থেকে?চটপট উত্তর দিলেন, ‘১৯৯৯ সাল থেকে। এর আগেও হয়তো দেখেছি। কিন্তু সেসব মনে নেই। নিয়মিত দেখতে শুরু করি তখন থেকেই। সে সময় বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রতিদিন বিকেলে দেখাত মীনা কার্টুন। মনে পড়ে, স্কুল থেকে বাড়ি ফিরেই অপেক্ষা করতাম, কখন বিকেল হবে, কখন শুরু হবে মীনা!’তারপর খানিকটা ভেবে বলেন, ‘জানেন, মীনার প্রতিটা পর্ব একটা সময় পর্যন্ত আমার মুখস্থ ছিল।’কোন পর্বগুলো বেশি ভালো লেগেছিল?একটু চিন্তা করেন শারমিন। তারপর বলেন, ‘মুরগিগুলো গুণে রাখ’, ‘যৌতুক বন্ধ কর’সহ অনেকগুলোই বেশ প্রিয়। আসলে মীনার সঙ্গে নিজের খুব মিল ছিল। আমরা দুই ভাইবোন। আমার চেয়ে পাঁচ বছরের ছোট আমার ভাই। মাকে প্রায়ই দেখতাম, ভাইকে একটু বেশি খাবার দিচ্ছে। তারপর মনে হতো, আমারও তো মীনার মতো বলা উচিত, মেয়েদের ছেলেদের সমান পুষ্টিকর খাবার দিতে হবে।’মীনার আর কোন বিষয়গুলো আপনার ভালো লাগত?মীনা খুব বুদ্ধিমতী। যেকোনো অন্যায়ের প্রতিবাদ করে। নিজের মতামতটা অন্যকে বোঝাতে পারে। সমাজের সবার বিপদে এগিয়ে যায়—মীনা চরিত্রের এই বৈশিষ্ট্যগুলো বেশ আকৃষ্ট করেছিল আমাকে। ভালো কাজ করার উৎসাহ পেয়েছি মীনার কাছ থেকে। আমার কাজের প্রেরণা মীনার কাছ থেকে পাওয়া।’যখনই যে পর্ব দেখতেন শারমিন, তার পরই সেটি নিয়ে ভাবতেন সারাক্ষণ। যৌতুকের পর্বটি দেখার পর তো এ রকম হয়েছে, যেখানেই দেখেছেন যৌতুক দেওয়া-নেওয়া হচ্ছে, তিনি বাধা দিয়েছেন। বড়দের বলেছেন, ‘আপনারা এত বড় মানুষ, বোঝেন না যে যৌতুক সমাজের জন্য অভিশাপ। মীনা কার্টুন দেখবেন। তাহলে যৌতুক যে খারাপ, সেটা জানতে পারবেন।’শারমিনের ছোট্ট একটা কষ্ট রয়েছে মনে। সেটি হচ্ছে আগের মতো নিয়মিত দেখানো হয় না কার্টুনটি। তাঁর প্রিয় চরিত্রকে তিনি নিয়মিত টিভির পর্দায় দেখতে চান। তারপর যেন কিছু একটা মনে পড়েছে, এমন ভঙ্গিতে বলেন, ‘অনেকের জীবনেই অনেক বড় বড় মনীষীর দৃষ্টান্ত হাজির হয়। কিন্তু আমার হয়েছে তার উল্টো। মীনার মধ্যে আমি অনুসরণ করার মতো এত কিছু পেয়েছি যে, আমি এখনো মীনার প্রতি আকর্ষণ বোধ করি। এখনো যদি কখনো মীনা কার্টুন শুরু হয়, আমি দৌড়ে যাই টিভি দেখতে।’শারমিনের পরিবারও অন্য আট-দশটা পরিবারের মতোই ভাবে মেয়েদের। তা দেখে দেখে ও ভাবত, মেয়েরা হয়তো তেমন কিছুই করতে পারে না। ধীরে ধীরে মীনাই শিখিয়েছে যে মেয়েরাও সুযোগ পেলে অনেক ভালো কাজ করতে পারে। মেয়েদেরও অধিকার আছে সমাজে ভালোভাবে বেঁচে থাকার।শারমিনের চোখেও এখন মীনার মতোই হাজার স্বপ্ন। তিনি বলেন, ‘আমি হয়তো পাস করে একটা চাকরি করব। কিন্তু আমার স্বপ্ন শুধু এতটুকুই না। আমিও মীনার মতো সমাজের জন্য কিছু করতে চাই। আমি মনে করি, মীনা আমার সমাজেরই একটা সত্যিকারের চরিত্র, যে মেয়েশিশুর অধিকার ও সমাজের আর দশটা অসংগতি নিয়ে ভাবে।’মীনা তিনটি ইচ্ছাপূরণের সুযোগ পেয়েছিল। আপনি তো মীনার অনুসারী। আপনার মনে কি এমন কোনো ইচ্ছা আছে? প্রশ্ন শুনেই শিশুসুলভ হাসি হাসেন শারমিন। তারপর বেণি দুলিয়ে জবাব দেন, ‘আমার যদি মীনার মতো একটা দৈত্য থাকত, তাহলে আমিও আমার তিনটি ইচ্ছা পূরণ করে নিতাম। এক. আর যেন কোনো মেয়ে ইভ টিজিংয়ের শিকার না হয়। দুই. দেশ থেকে দুর্নীতি দূর হয়ে যাক আর তিন নম্বর হচ্ছে, সবাই যেন সুখে জীবনযাপন করে।’ইচ্ছাপূরণের দৈত্য নিয়ে শারমিনের মনে সংশয় থাকলেও স্বপ্নগুলো নিয়ে কোনো সংশয় নেই। যত কঠিনই হোক, স্বপ্নগুলো পূরণ করবেনই, নিজের অভিব্যক্তি দিয়ে সে কথাই জানিয়ে দেন তিনি।বাবা বাবা বলে কাঁদছে সাইফুল ইসলাম ওরফে বাদশার মা জবুরা খাতুন। স্বজনদের কোনো সান্ত্বনাই তাঁকে থামাতে পারছে না। ছোট বোন ফিরোজা বেগম শোকে যেন পাথর হয়ে গেছেন। ছোট ভাই সিফাতুল ইসলাম মাথায় হাত বুলিয়ে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করছে।কক্সবাজারের চকরিয়া পৌরশহরে গত শুক্রবার বিকেলে বিজিবির সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষে নিহত হন পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম ওরফে বাদশা (২৮)। ঘটনার পরপরই তাঁর লাশ নিয়ে যায় বিজিবি ও পুলিশ সদস্যরা। পরদিন শনিবার রাতে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করে পুলিশ। জানাজা শেষে পৌরসভার হালকাকারা এলাকার সওদাগর পাড়া গ্রামে নিজ বাড়ির কবরস্থানে তাঁর লাশ দাফন করা হয়।গতকাল মঙ্গলবার সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, ঘরের বারান্দায় মা জবুরা খাতুন ও বোন ফিরোজা বেগম একে অপরকে জড়িয়ে ধরে কান্না করছেন।ফিরোজা উচ্চস্বরে বলছেন, ‘আল্ল্লাহ তুমি আমার ভাইয়ের হত্যাকারীদের ধ্বংস করো।’ বাবা মোকতার আহমদ বলেন, ‘গণতান্ত্রিক দেশে মিছিল-সমাবেশ করা কোনো অপরাধ নয়। এর পরও বাদশাকে প্রকাশ্যে পুলিশ ও বিজিবি গুলি করে হত্যা করেছে। আমি হত্যাকারীদের বিচার চাই।’তাহলে কেন মামলা করছেন না জানতে চাইলে মোকতার আহমদ বলেন, মামলা করতে হলে পুলিশের কাছে যেতে হবে। যারা আসামি তাদের হাতে যদি মামলার চাবি থাকে, তাহলে সে মামলা না করাই ভালো!স্থানীয় লোকজন জানান, বাদশা অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত লেখাপড়া করার পর পরিবারের বড় ছেলে হিসেবে সংসারের হাল ধরেন। তিন বছর আগে সওদাগর পাড়া স্টেশনে একটি চায়ের দোকান খুলেছিলেন বাদশা। ওই দোকানের আয় দিয়ে নয় সদস্যের সংসারের খরচ চলত।জানা গেছে, নয় মাস আগে সওদাগরপাড়ার পার্শ্ববর্তী জালিয়াপাড়ার বিএনপি সমর্থিত ব্যক্তিদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। ওই ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করলে সেই মামলায় বাদশাকে আসামি করা হয়। পরে ওই মামলায় বাদশা গ্রেপ্তার হয়ে ৩৫ দিন জেল খাটেন। এরপর থেকে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন তিনি। পরে তাঁকে স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়কের পদ দেওয়া হয়।সৃজনশীল প্রশ্ন অংশ-২প্রিয় এসএসসি পরীক্ষার্থী, শুভেচ্ছা রইলো। আজ বাংলা ১ম পত্রের ‘রচনার শিল্পগুণ’ প্রবন্ধ থেকে দেওয়া হলো একটি সৃজনশীল প্রশ্ন ও তার উত্তর। জনৈক বাংলা শিক্ষক তাঁর কলেজপড়ুয়া ছেলেকে একটি পত্র লেখেন। পত্রের কিছু অংশ নিচে দেওয়া হলো: ‘স্নেহাষ্পদেষু, তোমার স্বহস্ত লিখিত পত্রখানি ডাক বাহকের হস্ত ঘুরিয়া কিয়ৎ দিবস পূর্বে আমার হস্তগত হইলে আমি পত্রপাঠে বিশেষ প্রীত হইতে পারি নাই। তুমি কি আমার সহিত প্রপঞ্চ করিতেছ? তা না হইলে তোমার বন্ধু মারফত তোমার সম্পর্কে একি অশ্রুতপূর্ব ঘটনা শুনিলাম! ঘটনা শ্রুতপূর্বক আমি কিংকর্তব্যবিমূঢ় হইয়াছি এবং তদ্ধেতুক উক্ত পত্রখানি রচনা করিতে বসিয়াছি। মনে রাখিও, বিভাবরীর অবসানেই ভাণুর প্রতাপ প্রজ্বলিত হয়।ক. বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক উপন্যাসের নাম কী? ১খ. বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ‘রচনার শিল্পগুণ’ প্রবন্ধে ‘বিজ্ঞাপন’ শব্দের পরিবর্তে ‘ইশতিহার’ ব্যবহার করতে বলেছেন কেন? ২গ. ‘রচনার শিল্পগুণ’ প্রবন্ধে প্রকাশিত কোন দিকটি উদ্দীপকে অনুপস্থিত? ব্যাখ্যা করো। ৩ঘ. উক্ত পত্রটি সহজবোধ্য করতে ‘রচনার শিল্পগুণ’ প্রবন্ধের বৈশিষ্ট্যগুলো কীভাবে কাজ করবে? বুঝিয়ে লেখো। ৪১ (ক) নম্বর প্রশ্নের উত্তরবাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক উপন্যাসের নাম দুর্গেশনন্দিনী।১ (খ) নম্বর প্রশ্নের উত্তর‘ইশতিহার’ লৌকিক শব্দ এবং এটি ব্যবহার করলে রচনা বা সাহিত্যকর্মের ভাব বা অর্থ খুব দ্রুত প্রকাশ পায়। তাই বঙ্কিমচন্দ্র ‘বিজ্ঞাপন’ শব্দের পরিবর্তে ‘ইশতিহার’ শব্দ ব্যবহার করতে বলেছেন।যেকোনো রচনা বা সাহিত্যকর্মের ক্ষেত্রে উপযুক্ত শব্দচয়নের গুরুত্ব সর্বাধিক। অর্থবিভ্রান্তি নেই, এমন লৌকিক বা প্রচলিত শব্দ ব্যবহার করলে রচনার অর্থ দ্রুত প্রকাশ পায়। বিজ্ঞাপন সংস্কৃত শব্দ বিধায় তৎকালীন অনেক সাহিত্যিক বিজ্ঞাপন শব্দ ব্যবহারের পক্ষে থাকলেও, বঙ্কিমচন্দ্র এর পরিবর্তে ইশতিহার ব্যবহার করতে বলেছেন। বিদেশি শব্দ হলেও এর লৌকিকতা আছে এবং বিজ্ঞাপনশব্দের মতো এটা বিভিন্নার্থক নয়।১ (গ) নম্বর প্রশ্নের উত্তর:‘রচনার শিল্পগুণ’ প্রবন্ধের প্রাঞ্জলতার দিকটি উদ্দীপকে অনুপস্থিত। প্রাঞ্জলতা অর্থ সহজবোধ্যতা। অর্থাৎ পাঠক কোনো সাহিত্যকর্ম পড়ামাত্র বুঝতে পারলে তাকেই ওই সাহিত্যের ‘প্রাঞ্জলতা’ গুণ বলে। বঙ্কিমচন্দ্রের মতে, বেশ কিছু কৌশল মনে রাখলে রচনা প্রাঞ্জল হয়। অর্থাৎ অপ্রচলিত, দুর্বোধ্য শব্দ ব্যবহার না করা, বাক্য জটিল না করা, অপ্রয়োজনীয় শব্দ ব্যবহার করে বাহুল্যদোষ না ঘটানো ইত্যাদি মনে রাখলে রচনায় প্রাঞ্জলতা আসে।আলোচ্য উদ্দীপকে আমরা দেখতে পাই, জনৈক বাংলা শিক্ষক তাঁর লেখা পত্রে অনেক অপ্রয়োজনীয় শব্দ ব্যবহার করে বাহুল্যদোষ ঘটিয়েছেন। অনেক বাক্যকে একত্র করে জটিল বাক্য বানিয়েছেন। ফলে পত্রের ভাব খুব সহজে প্রকাশ পাচ্ছে না। তিনি বিভাবরী, প্রপঞ্চ, তদ্ধেতুক, ভাণু, কিংকর্তব্যবিমূঢ় ইত্যাদি অপ্রচলিত দুর্বোধ্য শব্দ ব্যবহার করেছেন। যেখানে বঙ্কিমচন্দ্র হুতাশন, হুতভুক, বায়ুসখা, বৈশ্বানর ব্যবহার না করে অগ্নি বা আগুন ব্যবহার করতে বলেছেন। কাজেই দেখা যায়, উদ্দীপকে প্রাঞ্জলতার অভাব রয়েছে।১ (ঘ) নম্বর প্রশ্নের উত্তর:‘রচনার শিল্পগুণ’ প্রবন্ধে উল্লিখিত বৈশিষ্ট্যগুলোর সাহায্যে ওই পত্রটিকে অনায়াসে সহজবোধ্য করা যায়।বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের মতে, রচনার প্রধান দুটি শিল্পগুণ হলো ‘অর্থব্যক্তি’ ও ‘প্রাঞ্জলতা’। উপযুক্ত লৌকিক শব্দ চয়ন ও প্রয়োগই হচ্ছে অর্থব্যক্তি বা অর্থপ্রকাশ। আর সাহিত্যের সহজবোধ্যতার গুণটি হলো প্রাঞ্জলতা। অপ্রচলিত, দুর্বোধ্য শব্দ ব্যবহার না করে, বাক্য জটিল না করে, অপ্রয়োজনীয় শব্দ ব্যবহার করে বাহুল্যদোষ না ঘটিয়ে, স্থূল বাক্যকে সম্প্রসারণ ও উদাহরণ প্রয়োগ করে প্রাঞ্জলতা আনা সম্ভব।আলোচ্য উদ্দীপকের পত্রে অনেক অপ্রচলিত ও দুর্বোধ্য শব্দ যেমন কিয়ৎদিবস, বিভাবরী, প্রপঞ্চ, ভাণু, কিংকর্তব্যবিমূঢ় ইত্যাদি ব্যবহূত হয়েছে। একই সঙ্গে সন্ধি-সমাসজাত শব্দ স্বহস্তলিখিত, হস্তগত, অশ্রুতপূর্ব, তদ্ধেতুক ইত্যাদি ব্যবহারের ফলে ভাব প্রকাশ বাধাগ্রস্ত হয়েছে। তা ছাড়া একাধিক বাক্য একত্র করার ফলে বাক্য জটিল হয়েছে। অপ্রাসঙ্গিক অনেক শব্দ এসে পত্রকে বাহুল্যদোষে আক্রান্ত করেছে।একজন লেখককে এসব নেতিবাচক প্রবণতা পরিহার করার জন্য বঙ্কিমচন্দ্র পরামর্শ দিয়েছেন। তাঁর মতে, পত্রটি সহজবোধ্য করতে অপ্রচলিত, দুর্বোধ্য শব্দ ‘কিয়ৎদিবস’-এর বদলে ‘কিছুদিন’; ‘প্রপঞ্চ’র পরিবর্তে ‘ছলনা’ বা ‘প্রতারণা’ ও ‘বিভাবরী’র পরিবর্তে ‘রাত’ শব্দগুলো ব্যবহার করা যেতে পারে। আবার সন্ধি-সমাসজাত শব্দ ‘তদ্ধেতুক’-এর পরিবর্তে ‘সে জন্য’; ‘অশ্রুতপূর্ব’র পরিবর্তে ‘আগে কখনো শুনিনি’—এ জাতীয় শব্দগুলো ব্যবহার করলে ভাব দ্রুত প্রকাশ পাবে। তা ছাড়া পত্রের জটিল বাক্যগুলোকে ভেঙে ছোট ছোট সরল বাক্যে রূপান্তর করতে হবে এবং অপ্রয়োজনীয় শব্দ বর্জন করে বাক্যকে বাহুল্যদোষ মুক্ত করতে হবে। এভাবে ‘রচনার শিল্পগুণ’ প্রবন্ধে উল্লিখিত বৈশিষ্ট্যগুলোর সাহায্যে ওই পত্রটিকে অনায়াসে সহজবোধ্য করা যায়।সিনিয়র শিক্ষক, সেন্ট গ্রেগরী হাইস্কুল, ঢাকারসায়নথুতু উৎপাদন তত্ত্বউদ্ভাবক: হুসেইন মুহম্মদ এরশাদউপর্যুপরি প্রভাবক হিসেবে ‘ডিগবাজি’ উপস্থিত থাকলে যেকোনো স্ববিরোধী দুটি কাজের বিক্রিয়ায় জনগণের মুখে থুতু উৎপন্ন হয়। যাতে উপজাত হিসেবে কিঞ্চিৎ হাসিও উৎপাদন করে।অর্থনীতিদুষ্ট তত্ত্বউদ্ভাবক: আবুল মাল আবদুল মুহিতঅর্থনীতি খুবই দুষ্ট প্রকৃতির। কিন্তু তাকে পিটিয়ে মানুষ করা সম্ভব। কিন্তু এ তত্ত্বের সীমাবদ্ধতা হলো মানুষগুলোও খুব দুষ্ট।খনিজ সম্পদ আবিষ্কারগরমতত্ত্বউদ্ভাবক: বিরোধী জোটবাংলাদেশের মাটিতে লুকিয়ে থাকা নতুন খনিজ সম্পদ ককটেল ও পেট্রলবোমা আবিষ্কার।পদার্থবিজ্ঞান নাড়াচাড়া তত্ত্বউদ্ভাবক: মহীউদ্দীন খান আলমগীরঝাঁকুনি সহকারে হরতালপূর্বক নাড়াচাড়ায় আটতলা পর্যন্ত একটি ভবন অভিকর্ষ বল উপেক্ষা করে চুরমার হয়ে যেতে পারে।পৌরনীতিসংবিধান রক্ষাকবচ তত্ত্বউদ্ভাবক: শেখ হাসিনাজনগণের সংবিধান নয়, সংবিধানের জন্যই জনগণ!নগরায়ণবৃক্ষনিধন কর্মসূচিউদ্ভাবক: জামায়াতে ইসলামীবৃক্ষ কেটে জঞ্জাল পরিষ্কার করে দেশে নগরায়ণ প্রতিষ্ঠা।ক্রীড়াগোল তত্ত্বউদ্ভাবক: বর্তমান সরকারখালি মাঠে গোল দেওয়া সহজ কথা নয়। প্রতিপক্ষকে স্টেডিয়ামের বাইরে রাখা, রেফারিকে পোষ মানানো, পোষা প্রতিপক্ষ ম্যানেজ করা! উফ যা তা লেভেলের কঠিন কাজ!শান্তিঅবতাল তত্ত্বউদ্ভাবক: খালেদা জিয়াএকই সঙ্গে অবরোধ ও হরতালের মতো কর্মসূচি দিয়ে দেশের জনগণকে সপ্তাহের প্রায় সাত দিনই ছুটির আমেজে রাখা।প্রথম বাংলাদেশি নভোচারীফটোশপ তত্ত্বউদ্ভাবক: দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর সমর্থকগোষ্ঠীদেশের প্রথম নভোচারী হিসেবে চাঁদের বুকে পা রাখার বিরল কীর্তি।পল্টিবন্ধু জিমন্যাস্টহুসেইন মুহম্মদ এরশাদচেয়ারম্যান, জাতীয় পার্টিক্যারিকেচার: আরাফাত করিম |
জাপানের এশিয়া-প্যাসিফিক প্যানাসনিক ওপেনে পিছিয়ে পড়েছেন সিদ্দিকুর। কাল তৃতীয় রাউন্ডে পারের চেয়ে ৩ শট বেশি খেলে ২৫ থেকে ৩৩ নম্বরে নেমে গেছেন বিশ্বকাপে সুযোগ পাওয়া এই গলফার। তিন রাউন্ড মিলিয়ে সিদ্দিকুর পারের চেয়ে ৩ শট বেশি খেলেছেন। পারের চেয়ে ৭ শট কম খেলে শীর্ষে দক্ষিণ কোরিয়ার পার্ক সুং-জুন। তথ্যসূত্র: এশিয়ান ট্যুর।গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ ডিগ্রি কলেজে এক মাস আট দিন ধরে পাঠদান বন্ধ রয়েছে। কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও গাইবান্ধা-৪ আসনের সাংসদ মনোয়ার হোসেন চৌধুরীর সঙ্গে শিক্ষকদের দ্বন্দ্বের জের ধরে এই অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এতে কলেজটির দুই হাজার শিক্ষার্থী ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।সাংসদ মনোয়ার হোসেন বলেন, বেশির ভাগ শিক্ষক বিএনপিপন্থী। অচলাবস্থার জন্য তাঁরাই দায়ী। তার পরও পাঠদান চালানোর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আবুল কালাম আজাদ অভিযোগ করেন, নিয়োগ-বাণিজ্য করার জন্য শিক্ষক প্রতিনিধি ছাড়া সাংসদ তাঁর ছোট ভাই, ব্যক্তিগত সহকারী ও সমর্থকদের নিয়ে ‘পকেট’ পরিচালনা কমিটি গঠন করেছেন। নিয়ম লঙ্ঘন করে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দিয়েছেন পছন্দের এক শিক্ষককে। এসব অনিয়মের কারণে সাংসদের সঙ্গে শিক্ষকদের দ্বন্দ্বের জের ধরে অচলাবস্থা চলছে।সাংসদ বলেন, নিয়োগ-বাণিজ্যের জন্য পকেট কমিটি গঠনের অভিযোগ ভিত্তিহীন। শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচন নিয়ে আদালতে মামলা থাকায় কমিটিতে শিক্ষক প্রতিনিধি রাখা সম্ভব হয়নি। বিধিমালা অনুযায়ী কমিটির সিদ্ধান্ত নিয়ে লোকবল নিয়োগ করা হয়েছে।শিক্ষক প্রতিনিধি ছাড়া কমিটি গঠন ও বিধিবহির্ভূতভাবে পাঁচটি কলেজে সভাপতির দায়িত্ব পালনের অভিযোগে ২০১২ সালে সাংসদের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে রিট করেন সাবেক শিক্ষক প্রতিনিধি মাফরুহা পারভিন।মাফরুহা অভিযোগ করেন, উচ্চ আদালত কেন সভাপতির পদ অবৈধ করা হবে না মর্মে দুই সপ্তাহের মধ্যে জবাব দিতে সাংসদের প্রতি রুল জারি করেছিলেন। তার পরও সাংসদ কমিটির কার্যক্রম চালিয়ে গত ২০ সেপ্টেম্বর ছয়জন শিক্ষক ও কর্মচারী নিয়োগ দেন। এ ঘটনার প্রতিবাদে ২২ সেপ্টেম্বর থেকে শিক্ষক ও কর্মচারীরা কর্মবিরতি পালন শুরু করেন এবং ছাত্রলীগ কলেজ শাখা বিভিন্ন শ্রেণীকক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেয়। তখন থেকে পাঠদান বন্ধ রয়েছে।এ নিয়ে ২৩ সেপ্টেম্বর প্রথম আলোতে ‘গোবিন্দগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ, ঘুষ নিয়ে শিক্ষক নিয়োগের অভিযোগ, সাংসদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন ছাপা হয়। কলেজ সূত্রে জানা গেছে, বিধি অনুযায়ী অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ পদে লোকবল না থাকলে সবচেয়ে জ্যেষ্ঠ শিক্ষককে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দেওয়ার কথা। কিন্তু সাংসদ জ্যেষ্ঠতার বিচারে সর্বকনিষ্ঠ শিক্ষক নারায়ণ চন্দ্র পালকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দিয়েছেন।নারায়ণ চন্দ্র বলেন, ‘এ জন্য আমি দায়ী নই। কমিটি আমাকে দুই মাসের জন্য অধ্যক্ষের দায়িত্ব দিয়েছে।’জ্যেষ্ঠ শিক্ষক গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘আমি তিন দফায় ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ছিলাম। কিন্তু সাংসদের দল না করায় আমাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। ক্ষমতাসীন দলের সাংসদ বলে এ বিষয়ে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েও কোনো কাজ হয়নি।’এ বিষয়ে সাংসদ মনোয়ার হোসেন বলেন, জ্যেষ্ঠ শিক্ষক গোলাম মোস্তফা একটি মামলার বাদী হওয়ায় তাঁকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ করা হয়নি।ষাট যখন দরজায় ধাক্কা দেওয়ার জন্য উন্মুখ তখন ‘অ্যাকশন’ বলার সঙ্গে সঙ্গে যেমন একজন অভিনেতা সুন্দর করে অ্যাঙ্গেল দিয়ে তাকায়, আমি আজকাল রাস্তায় যেতে যেতে নিজেই নিজেকে ‘অ্যাকশন’ বলি আর ঘাড় ঘুরিয়ে তাকাই, গুনগুন করি ‘মুছে যাওয়া দিনগুলি আমায় যে পিছু ডাকে...’।সোনার চামচ মুখে নিয়ে আমার জন্ম হয়নি। ৪ মাঘের হাড়কাঁপানো শীত আর প্রচণ্ড বৃষ্টির মধ্যে মধ্যদুপুরে পাবনার বাড়ির উঠানে (আঁতুড়ঘর) আমার জন্ম। সংখ্যালঘু হিন্দুরা দেশ বিভাগের কারণে দেশত্যাগে ব্যস্ত হলেও আমার বাবাকে তাঁর চার পুত্র ও এক কন্যাসন্তান নিয়ে দেশত্যাগের কথা বলতে বা আলোচনা করতে শুনিনি।বাবাকে তাঁর পেশাগত কারণে পাবনা জেলার বিভিন্ন শহর-গ্রামে যেতে হতো। মাঝেমধ্যে নাছোড়বান্দা আমি সঙ্গ নিতাম। আবিষ্কার করলাম, বিশাল এক ভুবন। বাড়ির বাইরেও অন্য এক পৃথিবী। স্বচক্ষে অবলোকন করলাম বিভিন্ন ধর্মের সামাজিক লোকাচার, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য আরও কত কী! পড়ালেখার চেয়েও তখন আমার অনেক বেশি আনন্দ সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়ায়। খুব রোগা ছিলাম বলে ডাকনাম রাখা হয়েছি ‘ফড়িং’। সুতরাং একটা ফড়িং এ-পাড়া ও-পাড়া করে বেড়ালে কেউ কি তার খবর রাখতে পারে। দাদুবাড়ি কালাচাঁদ বাড়িতে নাটমন্দির ছিল, যেখানে বছরে দুবার রাতব্যাপী ১০ দিন ধরে যাত্রা, নাটক, নাচ, গান আরও কত কিছু যে হতো, তা বলে শেষ করা যাবে না। চৈত্র মাসে পাবনার চৈত্রসংক্রান্তি উপলক্ষে ‘হাজরা বা গাজন’ নামে মাসজুড়ে একটা উৎসব হয়, যা দেশের অন্য কোনো শহরে হয় না। সে এক বিশাল আয়োজন। তাতে আমার উপস্থিতি কারও চোখেও পড়ত না। মহরমের তাজিয়া-লাঠিখেলায়, কবরস্থান-শ্মশান কোথায় নেই আমি। আমি তো ফড়িং কারও ‘সু’ বা ‘কু’ কোনো দৃষ্টিতেই আমি পড়ি না। আবিষ্কার করলাম প্রতিটি উৎসবের একটা ঐতিহ্য রূপ-গন্ধ-ছন্দ আছে। খুঁজে পেলাম তার ভেতর থেকে দেহভঙ্গি, অভিব্যক্তি আর নৈঃশব্দের সংগীত। আকৃষ্ট হলাম কিন্তু জানতাম না এগুলোকে কী বলে? কথা না বলেও আমরা অনেক কথা বলি, ভাষা ব্যবহার না করেও আমরা দেহ দিয়ে এমন অঙ্গভঙ্গি করি, যা ভাষা উচ্চারণের চেয়েও অনেক বেশি প্রকট ও শক্তিশালী। যাকে নাম দেওয়া হয়েছে ‘বডি ল্যাংগুয়েজ’ বা ‘দৈহিক ভাষা’। আরও পরে জেনে ছিলাম এগুলোকে সম্মিলিত করেই একটা শিল্পের জন্ম হয়েছে যার নাম ‘মূকাভিনয়’ বা ইংরেজিতে ‘মাহিম’ আর ফরাসিতে ‘মিম’।প্রতিটি মানুষের রয়েছে আলাদা ব্যক্তিত্ব, ভিন্ন অভিব্যক্তি, রহস্যেঘেরা তার অঙ্গভঙ্গি। জীবনের এত পেশা-নেশা থাকতে এই রহস্যেঘেরা শিল্পকেই আলিঙ্গন করে জীবনের ৪০টি বছর কাটিয়ে দিলাম।মূকাভিনয়ের শৈল্পিক রূপ চাক্ষুষ করার সুযোগ হয় ষাটের দশকের শেষ দিকে কলকাতায় যোগেশ দত্তের সঙ্গে পরিচয় হওয়ার পর। পারিবারিক পরিচয়ের গণ্ডিতে তাঁর কাছেই আমার প্রথম হাতেখড়ি।সদ্য স্বাধীন হওয়া দেশে ঢাকায় যখন আমি স্থিত তখন আমি ‘ঢাকা সংগীত মহাবিদ্যালয়ের’ ছাত্র। হাঁটি হাঁটি পা পা করে মূকাভিনয়ের অনুশীলন একই সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধের সময় প্রবাসে গঠন হওয়া সংগঠন ‘গণসাংস্কৃতিক পরিষদ’ নামের ড্যান্স ড্রামা দলে প্রখ্যাত নাচের শিল্পী ও শিক্ষক আমানুল হকের কাছে নৃত্যে প্রশিক্ষণ লাভ করি। দেশব্যাপী এই দলের প্রতিটি প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ করি। মঞ্চ ও টেলিভিশনে একক মূকাভিনয় প্রদর্শনের সঙ্গে সঙ্গে সাধারণ দর্শকদের অভূতপূর্ব সাড়া পাই এবং সেই ভালোবাসাই আমাকে আজকের এই স্থানে পৌঁছে দিয়েছে।ফরাসি রাষ্ট্রদূত লুইমরোর চোখে পড়ে যাওয়াতে ও ফরাসি দূতাবাসের আন্তরিক চেষ্টায় এশিয়ার প্রথম মাইমের স্কলারশিপ জুটে যায় ফরাসি দেশের। সেই আট মাসের জন্য আসা অচিন দেশে আমি কাটিয়ে দিলাম তিনটি দশক। লালকার্পেট ও ফুলের মালা দিয়ে আমাকে কেউ বরণ করেনি। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে আসা শিল্পীদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে আর অমানুষিক পরিশ্রম করে আমাকে টিকে থাকতে হয়েছে। আজও তার শেষ হয়নি। আমি মাঝেমধ্যে আমাকে প্রশ্ন করি আমি কি সত্যি অনেক প্রতিভাবান ব্যক্তি? অনেক বড় শিল্পী? না আমি দুটোর একটাও না। যে প্রতিকূল পরিবেশ থেকে আজ আমি মাইম শিল্পকে যেখানে পৌঁছাতে পেরেছি, নিজের স্বীকৃতি আদায় করে নিতে পেরেছি তা শুধু সম্ভব হয়েছে আমার লক্ষ্যে স্থির থাকা আর দাঁতে দাঁত চেপে লেগে থাকার সুবাদে। প্রতিদিন ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ১২ থেকে ১৪ ঘণ্টা ক্লাস করার পর মৃতপ্রায় অবস্থায় যখন হোস্টেলে ফিরতাম ঘরের কার্পেটের মাঝে চোখ বন্ধ করে শুয়ে পড়তাম আর অনুভব করার চেষ্টা করতাম ‘মহিলা সমিতি’ মঞ্চে বা ‘টিএসসি’ মঞ্চে অথবা ‘শিল্পকলার’ মঞ্চে আমার শো শেষে হলভর্তি দর্শকদের আন্তরিক উচ্ছ্বাস ও হাততালি। আমার অক্সিজেন নেওয়া শেষ, তৈরি হতাম আবার পরের দিনের জন্য। প্যারিসের প্রথম চার বছর বলতে গেলে সূর্যের মুখই আমি দেখিনি। একটি থিয়েটার নাম তার ‘থিয়েটারের নবজন্ম’ এর মাটির নিচে ছিল ‘মারসেল মার্সো’র আন্তর্জাতিক মাইম স্কুল ‘ইকোল ইন্টারন্যাশনাল মাইমোড্রামা মারসেল মার্সো, প্যারিস’ সেই স্কুলে সকাল সাড়ে আটটার মধ্যে ঢুকে যেতাম, বেরোতাম রাত ১০টায় বা কখনো রাত ১২টায়। আমি প্রতিভাধর হয়তো ছিলাম না কিন্তু অল্প প্রতিভাকে প্রতিদিন ১২ থেকে ১৪ ঘণ্টা ঘষেছি। শনি-রবি যেখানে সবার ছুটি সেই উইকেন্ডেও বিশেষ ব্যবস্থায় চাবি নিয়ে অনুশীলন করতাম। কলকাতায় যোগেশ দত্তর কাছে অনুশীলন করার সময় পকেটে তেমন পয়সা ছিল না বলে কলকাতার ফুটপাতের ঝুপড়ি দোকানে এটা স্লাইস পাউরুটি আর এক প্লেট ঘুঘনি বা আলুর দম দিয়ে দুপুরের খাওয়া শেষ করেছি। তেমন প্যারিসেও ক্লাসের শেষে প্রায় বন্ধ হয় সান্ডউইচের দোকান থেকে সারা দিন ধরে পড়ে থাকা অবিক্রীত সান্ডউইচ অতিকষ্টে চিবোতে চিবোতে মেট্রো বন্ধ হয়ে যাওয়াতে চার-পাঁচ কিলোমিটার হেঁটে হোস্টেলে ফিরেছি।মারসেল মার্সো ছাড়াও স্কুলটির সঙ্গে জড়িত ছিলেন পৃথিবীর বিখ্যাত সব শিক্ষক, যাঁদের কাছ থেকে আমরা আপ্রাণ নেওয়ার চেষ্টা করেছি। মাইম, প্যান্টোমাইম, করপোরাল মাইম, মাইমোড্রাম ছাড়াও প্রতি সপ্তাহে দুবারে চার ঘণ্টা করে শিখতে হয়েছে থিয়েটার একরোবেটিকস, ব্যালে, মডার্ন ড্যান্স, থিয়েট্রিক্যাল একরোবেটিকস, লাঠি, সোর্ড খেলা ইত্যাদি। যতভাবে দেহকে নরম করা যায় এবং একই সঙ্গে শক্তি অর্জন করা যায় তার সব শিক্ষাই আমাদের দেওয়া হয়েছে। মাঝেমধ্যে পৃথিবীর অন্যান্য দেশ থেকেও শিক্ষক-শিক্ষিকা এসেছেন আমাদের অন্য ধরনের কিছু শেখাতে। পৃথিবীর বিখ্যাত শো যখন প্যারিসে চলছে আমাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছে তা বিনা মূল্যে দেখার জন্য, কারণ আমরা প্রবাদপ্রতিম মার্সোর ছাত্র। কথার ছলে আমাকে মার্সো একবার বলেছিলেন যে ষাটের দশকের প্রথম দিকে তিনি যখন ভারতবর্ষে শো করতে গিয়েছিলেন পণ্ডিত নেহরু তখন ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রী। নেহরু দ্বিধা করছিলেন ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন কি না। অনুষ্ঠান শেষে মঞ্চে উঠে ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রী জড়িয়ে ধরে নিজের পরিহিত কোটে লাগানো গোলাপ ফুল খুলে মারসেল মার্সোকে উপহার দিয়ে পরদিন বাড়িতে ডিনারে ডেকেছিলেন।এই মানুষটি আমাকে তাঁর ছাত্র থেকে দলের সদস্য ও একই সঙ্গে ‘পুত্রসম’ অভিহিত করেছেন। মনে পড়ে আমার প্রথম আমেরিকা ভ্রমণ মারসেল মার্সোর সঙ্গে ১৯৮৪ সালে। আমাদের দলের থাকার জায়গা হয়েছিল শিকাগো ইউনিভার্সিটির ইন্টারন্যাশনাল ক্যাম্পাসে। প্রতি রাতে শো শেষে হোস্টেলে ফিরে তার লবিতে চলত মার্সোকে ঘিরে আমাদের রাতব্যাপী আড্ডা। তিনি তাঁর সারা জীবনের ঘটে যাওয়া সুখ-দুঃখের গল্প যেমন বলতেন তেমন অঙ্গভঙ্গি করে তাঁর ভাবগুরু চার্লি চ্যাপলিনের স্ত্রী কীভাবে প্যারিসের ‘অরলি’ বিমানবন্দরে চ্যাপলিনের মুখোমুখি হয়ে যখন কথা শুরু করেছেন ‘ও তুমিই সেই সাদামুখের বিখ্যাত ব্যক্তি।’ চার্লি চ্যাপলিন তাঁকে জিজ্ঞাসা করেছেন, উত্তর দেওয়ার আগেই চার্লি চ্যাপলিনকে কীভাবে হাত ধরে টেনে নিয়ে গিয়েছিলেন তা আমাদের দেখাতেন। আমরা হেসে গড়িয়ে পড়তাম। আসলে মার্সো ছিলেন আমার মেনটর বা নির্দেশক এবং একই সঙ্গে গুরু ও পিতা। এই বিশাল শিল্পীর কাছে তাঁর অন্তরের কাছে যে আমি কীভাবে পৌঁছে ছিলাম তা ভাবতেও আজ অবাক লাগে। নব্বইয়ের দশকে ইনস্টিটিউট দ্য ফ্রঁস একাডেমি ফ্রঁসেজ তাঁকে যখন একাডেমিয়ানের স্বীকৃতি দেয় একাডেমি কুপলের ওই বিশেষ অনুষ্ঠানে তাঁর ছাত্রদের মধ্যে থেকে তিনি শুধু আমাকে তাঁকে সহযোগিতা করার জন্য নির্বাচন করেছিলেন। এ এক বিশাল সম্মান।মারসেল মার্সো বেঁচে থাকা অবস্থায় আমি ভাবতেও পারিনি দেশে স্থায়ীভাবে ফিরে যাওয়ার কথা। আর তিনিও সেটা চাননি। ২০০৮ সালে ‘ঢাকার লাভ ফাউন্ডেশন’ আমাকে আমন্ত্রণ জানায় তাদের কনভেনশনে শো করার জন্য। ঢাকার বিশাল মঞ্চে তাদের আমন্ত্রিত বিদেশি অতিথিদের সম্মানে আমার একক ও আমার নির্দেশিত মাইমোড্রামা ‘জীবনের জন্য শ্বাস’ পরিবেশিত হয়। হলভর্তি সারা দেশের বিখ্যাত চিকিৎসক ও তাঁদের পরিবার এবং বিদেশি অতিথিদের মুহুর্মুহু করতালিতে ও উচ্ছ্বাসে আমি সিক্ত হই। তখন অনেকেই আমাকে অনুরোধ করেন কেন আমি দেশে আন্তর্জাতিকমানের একটা মাইম ইনস্টিটিউট তৈরি করছি না! যা হতে পারে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একমাত্র ইনস্টিটিউট। এখানে উল্লেখ্য যে আমি প্রথম এশিয়ান যে মারসেল মার্সোর কাছে প্রথম কাজ করার বা ছাত্র হওয়ার সুযোগ পেয়েছে। এর আগেও যতবার দেশে গেছি অনেক মানুষই আমাকে একই কথা বলেছেন। আমিও ভাবলাম, কেন নয়? মার্সো আর এই পৃথিবীতে নেই তাঁর কাছ থেকে ও তাঁর স্কুল থেকে সারা জীবন পরিশ্রম করে যা শিখেছি তা যদি নিজ দেশের কিছু ছেলেমেয়ের মধ্যে রেখে যেতে পারি এই অতি প্রাচীন ও একই সঙ্গে আধুনিক এই শিল্প বেঁচে থাকবে চিরদিন। যার দ্বারা উপকৃত হবে আমাদের নতুন ও বর্তমান প্রজম্ম। তারা উপকৃত হবে প্রথম তাদের দৈহিক গঠনে, সাংস্কৃতির প্রতিটি কর্মকাণ্ডে বিশেষ করে যারা নাটক, যাত্রা, নাচগান, চলচ্চিত্রে অভিনয়, মডেলিংয়ের সঙ্গে জড়িত। মাইম বা মূকাভিনয়কে বলা হয় সব পারফরমিং শিল্পের আদিরূপ বা ভিত্তি। আর একটা চিন্তাও মাথায় ছিল আমার। তো বয়স হচ্ছে এই শিল্পের জন্য দরকার শারীরিক ফিটনেসের, যা ভবিষ্যতে আমার পক্ষে হয়তো ধরে রাখা সম্ভব নাও হতে পারে। গত সাড়ে চার বছরের অক্লান্ত চেষ্টায় আমি একটা ইটও গাঁথতে পারিনি। আমি দেশে গিয়ে নিজ খরচায় দিনের পর দিন থেকেছি। আমার পরিচিত সরকারি ও বেসরকারি সব জায়গাতেই আমার পরিকল্পনার কথা মৌখিক বলেছি ও লিখিত দিয়েছি। সবাই আমাকে শতভাগ আশ্বাস দিয়েছেন কিন্তু শক্ত দেয়ালকে আমি ঠেলে সরিয়ে আশার কোনো আলো দেখতে পাইনি।রাষ্ট্রীয় সম্মান ‘একুশে পদক’ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে নিতে আমি যেতে পারিনি ফ্রান্সের অন্য শহরে একই সন্ধ্যায় আমার শো থাকার কারণে। কিন্তু আমি আমার পেশাগত সব কাজ বাদ দিয়ে এই সাড়ে চার বছরে নিজ দেশে বারবার গেছি। ঢাকায় বসে না থেকে সারা দেশের বিভিন্ন গ্রুপ থিয়েটার অলিয়ঁস ফ্রঁসেজের আমন্ত্রণে বরিশাল, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, পাবনা, রংপুর, ফরিদপুর, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, যশোর মাইমের ওয়ার্কশপ করতে ছুটে বেড়িয়েছি বিনা পারিশ্রমিকে। সারা দেশে যে সাড়া আমি পেয়েছি এই শিল্পটি সঠিকভাবে শেখার জন্য তাতে আমি অভিভূত। আমার দ্বারা সামান্য যেটুকু হতে পারত একটি আন্তর্জাতিক মানের ‘মাইম’ ইনস্টিটিউট। যেখানে ছাত্রছাত্রীরা শুধু মাইমই শিখবে না, তারা একই সঙ্গে শিখবে দেহকে ভালো রাখার সব ধরনের কলাকৌশল। আসল কথা শরীরটাকে ভালোবাসতে শিখতে হবে। যেদিন শরীরটা ভালো থাকে না সারা পৃথিবীর সব আনন্দ সেদিন বিষাদ লাগে। এই কথাটি আমি হয়তো যাঁদের সামর্থ্য আছে, তাঁদের বোঝাতে পারিনি সঠিকভাবে। আমারই অক্ষমতা। তবুও আমি প্রতিদিন নতুন সূর্য উদয়ের সঙ্গে সঙ্গে স্বপ্ন দেখি। ‘স্বপ্নের পর স্বপ্ন’ নিয়ে জাল বুনি।পার্থ প্রতিম মজুমদার: মূকাভিনয়শিল্পী বিদেশি পর্যবেক্ষক আসবেন না, তাতে কী! নির্বাচন তো নিশ্চিতভাবেই অবাধ, সুষ্ঠু, কালোটাকামুক্ত, নিরপেক্ষ, স্বচ্ছ আন্তর্জাতিক মানের হতে যাচ্ছে। দেখুন স্বচক্ষে—অবাধবিরোধী দল তো নির্বাচনেই নেই। বাধা দেবে কে? বাধামুক্ত অবাধ নির্বাচন অতীব কনফার্ম।কালোটাকামুক্তপোস্টারটাই যেখানে বানাতে হচ্ছে না, সেখানে টাকার কথা আসছে কোথা থেকে? টাকাই যেখানে লাগছে না সেখানে কালোটাকার বালিশ কিংবা তোষকগুলো এবার শীতে নেতাদের উষ্ণতা দেওয়া ছাড়া আর কীই-বা কাজে লাগবে?সুষ্ঠু ইতিমধ্যে অসুষ্ঠুভাবে কোনো উপায়ের পথে না গিয়েই ১৫৪ জন সাংসদ নির্বাচিত হয়ে প্রমাণ করেছেন বাকিটুকুও সুষ্ঠু হতে যাচ্ছে।স্বচ্ছ পলিথিনের মতোই স্বচ্ছভাবে দেখা যাচ্ছে যে বর্তমান সরকারই আবার জিতবে। এমনকি আপনি যদি ভোট না দেন তার পরও।অহিংসকে কাকে হিংসা করবে? তারা তারাই তো।নিরপেক্ষপক্ষ তো দুইটা। পক্ষ আর পোষা পক্ষ। নিরপেক্ষ না হয়ে নির্বাচনটা যাবে কই?আন্তর্জাতিক মানইতিমধ্যেই নির্বাচন ছাড়াই জয়ের একটা আন্তর্জাতিক রেকর্ড হয়ে গেছে। এখন শুধু নিজেদের রেকর্ড ভেঙে আন্তর্জাতিক রেকর্ডটিকে আরও বড় উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার পালা।অসম্ভবকে সম্ভব করাই অনন্তর কাজঅনন্ত জলিল, অভিনেতা, চিত্রপরিচালক, ব্যবসায়ীক্যারিকেচার: ষুভ |
‘উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন চোখে দারুণ বাংলাদেশ’—এই স্লোগান নিয়ে পঞ্চগড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবিতে গতকাল শনিবার সকাল ১০টা থেকে এক ঘণ্টার মানববন্ধন করা হয়েছে। পঞ্চগড়বাসীর ব্যানারে পঞ্চগড়-ঢাকা মহাসড়কে শহীদ মিনারের সামনে এই মানববন্ধনে স্কুল-কলেজের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক, বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনসহ নানা শ্রেণী-পেশার মানুষ অংশ নেন। পঞ্চগড় প্রতিনিধিদিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা সহকারী মনোয়ারুল ইসলামকে তাৎক্ষণিক বদলি (স্ট্যান্ড রিলিজ) করা হয়েছে। রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের নির্দেশ তাঁকে গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বদলি করা হয়।উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয় থেকে গতকাল মঙ্গলবার তাঁকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়।হাকিমপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে জানা গেছে, গত ২২ অক্টোবর উপজেলার খট্টামাধবপাড়া গ্রামের আবদুর রশিদের স্ত্রী ফেন্সি আরা বেগম (৪২) টিউমারের চিকিৎসার জন্য স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে আসেন। কিছুক্ষণ পর চিকিৎসা সহকারী মনোয়ারুল ইসলাম এসে অস্ত্রোপচার করার কথা বলে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ফটকসংলগ্ন নাজমা ফার্মেসিতে নিয়ে যান। সেখানে তিনি ৫০০ টাকা নিয়ে ওই ফার্মেসির একটি কক্ষে রোগীকে শুইয়ে টিউমারের পাশে একটি ইনজেকশন পুশ করেন। এর পরপরই ফেন্সি আরা মারা যান। এ নিয়ে ২৬ অক্টোবর প্রথম আলোতে ‘হাকিমপুরে ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. সোলায়মান আলী বলেন, প্রথম আলোতে প্রতিবেদন প্রকাশের পর দিনাজপুর সিভিল সার্জন ও রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালককে মনোয়ারুলের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য লিখিতভাবে জানানো হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২৭ অক্টোবর পরিচালক মো. শাহাদত হোসেন তাঁকে বদলি করেন। গতকাল তাঁকে নতুন কর্মস্থলে যোগদান করার জন্য ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।জামালপুর কারাগারে এক কয়েদির আর্তি শুনে বড্ড মায়া হয়েছিল সেদিন। কথা দিয়েছিলেন, অনুসন্ধান করে সত্য উদ্ঘাটন করবেন। করেও দেখিয়েছেন তিনি। পুলিশ সুপার নজরুল ইসলামের অনুসন্ধানের কারণেই যাবজ্জীবন সাজা পাওয়া ‘নির্দোষ’ এক দম্পতি (শাহীন-সজনী) আজ মুক্তির আলো দেখছেন।ওই দম্পতির দেখা পেলেন কী করে?একদিন কারা পরিদর্শনে গিয়ে ওই মহিলার সঙ্গে দেখা। নাম জিজ্ঞেস করতেই তিনি কেঁদে ফেললেন। বললেন, তাঁর নাম সজনী। বিনা দোষে চার মাস ধরে জেল খাটছেন। পুরুষ সেলে তাঁর স্বামীও বন্দী। একমাত্র বাচ্চা খালার কাছে। বাসার কাজের মেয়েকে হত্যার দায়ে তাঁদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে। আসলে মেয়েটা বাসা থেকে পালিয়েছিল। তাঁরা হত্যা করেননি। কথাগুলো মর্মস্পর্শী ছিল। তাঁর কথায় এমন কিছু ছিল, যা শুনে মনে হলো, আসলেই তিনি সত্য বলছেন। তাঁকে কথা দিয়ে এলাম সত্য বের করব।তারপর কী করলেন?সজনী আমাকে কাজের মেয়েটার নাম লাকী, বাড়ি শ্রীমঙ্গলে, এটুকুই শুধু বলতে পারলেন। কারাগার থেকে বেরিয়ে মৌলভীবাজারের এসপিকে ফোন দিলাম। কদিন পর জানা গেল, ওই নামে এক মেয়ে হবিগঞ্জের বাহুবলে আছে। বিয়ে করেছে। সঙ্গে তার বাবাও থাকে। লাকীর বাবার নামটাও মিলে গেল। যখন সব তথ্য মিলে গেল, তখন আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে লাকী ও তার বাবাকে গ্রেপ্তার করে জামালপুরে আনলাম।এতসব করলেন কিসের তাগিদে?মানবিক দায়বদ্ধতা থেকে। আমার সুযোগ আছে। আমি যদি না করি তাহলে করবেটা কে? তা ছাড়া তিনটি জীবন ধ্বংস হতে চলেছিল।আপনার জীবনে এ রকম আরও কোনো ঘটনা আছে?এই জামালপুরেই এক প্রবাসীর স্ত্রী তাঁর মেয়েকে নিয়ে পথে বসেছিলেন প্রায়। তাঁদের সারা জীবনের জমানো টাকায় করা বাড়িটা প্রভাবশালীরা দখল করেছিল। থানা মামলা নিচ্ছিল না। মহিলা কেঁদেকেটে আমাকে এসে ধরলেন। শেষে তিনি বাড়ি ফিরে পেয়েছিলেন।ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?মানুষের জন্য কিছু করলে তারা যখন অন্তর থেকে দোয়া করে, তখন খুব ভালো লাগে। এই চাকরিতে থেকে যতটুকু পারি, মানুষের সেবা করে যেতে চাই।সাক্ষাৎকার: আবুল হাসনাতচার দিন ধরে কুড়িগ্রামে সূর্যের দেখা মেলেনি। বৃষ্টির মতো শিশির পড়ছে, বইছে হিমেল হাওয়া। শীত জেঁকে বসেছে নীলফামারীতেও। গরিব মানুষজন খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। এদিকে ঠান্ডার কারণে গত শুক্রবার কুড়িগ্রামের উলিপুরে ১০০ মুরগির বাচ্চা মারা গেছে। আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর:কুড়িগ্রাম: গতকাল কুড়িগ্রামে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গরম কাপড়ের অভাবে নিম্ন আয়ের ও শ্রমজীবী মানুষ পড়েছে চরম বিপাকে। ব্রহ্মপুত্র নদের তীরবর্তী ঘনশ্যামপুর গ্রামের আবুল হোসেন ও আখের আলী জানান, জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বিকেলের পর মানুষ বাড়ির বাইরে বের হন না। ঘন কুয়াশায় কিছুই দেখা যায় না। সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম জানান, শীত ও অন্যান্য রোগে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১৪১ জন। এর মধ্যে ৬০ জন শিশু। এ ছাড়া আউটডোরে শীতজনিত রোগে চিকিৎসা নিয়েছে প্রায় ৮০০ জন মানুষ। এর অধিকাংশ শিশু ও বৃদ্ধ। সিভিল সার্জন লোকমান হাকিম জানান, চিকিৎসা বিভাগের সব কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সব ছুটি বাতিল করে সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় রাখা হয়েছে।নীলফামারী: গত শনিবার সন্ধ্যায় জলঢাকার শালনগ্রামে গিয়ে দেখা যায়, প্রায় প্রতিটি বাড়ির ঘরের সামনে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন নারী পুরুষ শিশু ও বৃদ্ধরা। এ সময় কথা হয় বৃদ্ধ অলন্ত বালার সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘জারত মুই মরি যাওছো, মেম্বার চেয়ারম্যান কাও মোখ দেখে না। সকাল থাকি এই আগুন কোনা নিয়া আছ।’ একই গ্রামের ধর্মনারায়ণ বলেন, ‘ঠান্ডাত দুদিন থাকি কাম কাজত যাবার পায়ছি না। এমনিতে হরতাল-অবরোধ তারপর ঠান্ডা শুরু হইছে, হামার যে কি হইবে কায় জানে।’ শীতজনিত রোগ বেড়েছে। গতকাল দুপুর দুইটা পর্যন্ত শীতজনিত রোগে নীলফামারী সদর আধুনিক হাসপাতালে ৫০ শিশু ভর্তি ছিল।সৈয়দপুর (নীলফামারী): শীতের তীব্রতা আরও বেড়েছে। ফলে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বৃদ্ধরা। সৈয়দপুরে গতকাল সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শীত বেড়ে যাওয়ায় পুরোনো কাপড়ের দোকানগুলোতে ব্যাপক ভিড় দেখা গেছে। সৈয়দপুর শহরের ডাকঘরসংলগ্ন রেললাইনের ওপর বসানো হয়েছে অস্থায়ী পুরোনো শীতবস্ত্রের দোকান। এসব দোকানে দাম হাঁকা হচ্ছে বেশি। ফলে গরিব ক্রেতারা বিপাকে পড়েছে। সরকারিভাবে সৈয়দপুরে ৮১০টি শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে।উলিপুর (কুড়িগ্রাম): উলিপুর পৌরসভার মালতিবাড়ী গ্রামের খামারি হাবিবুর রহমান জানান, এক সপ্তাহ আগে তিনি খামারে ব্রয়লার মুরগির এক হাজার বাচ্চা তুলেছেন। ঠান্ডার কারণে গত শুক্রবার তাঁর ১০০ মুরগির বাচ্চা মারা গেছে। এ ছাড়া কাশিয়াগাড়ী গ্রামের খামারি আইয়ুব আলীর ৩০টি, জিয়াউর রহমানের ৪০টি ও রফিকুল ইসলামের ৩০টি মুরগি মারা গেছে। খামারিরা জানান, খামারে দিন-রাত বৈদ্যুতিক বাতি জ্বালিয়েও বাচ্চা রক্ষা করা যাচ্ছে না। |
পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশে গতকাল শনিবার আবারও ৬ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। গত সপ্তাহের ভয়াবহ ভূমিকম্পের ধাক্কা সামলে না উঠতেই নতুন এ ভূমিকম্পে অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছে বলে প্রাথমিক খবরে জানা গেছে।মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ দপ্তর (ইউএসজিএস) জানায়, ভূমিকম্পটি ইতিমধ্যেই ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত আওয়ারান জেলার ৯৬ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে আঘাত হেনেছে। বেলুচিস্তানে গত সপ্তাহের ভূমিকম্পে অন্তত ৪০০ মানুষ প্রাণ হারিয়েছে।গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, নতুন এ ভূমিকম্প সিন্ধু প্রদেশ এমনকি উত্তরে ভারতের দিল্লি পর্যন্ত অনুভূত হয়েছে। পাকিস্তানের আবহাওয়া বিভাগের হিসাবে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ২।পাকিস্তানের জাতীয় ভূকম্পন কেন্দ্রের পরিচালক জাহিদ রফি জিয়ো টেলিভিশনকে বলেন, এটি গত সপ্তাহের ভূমিকম্পের পরঘাত নয়, বরং পৃথক একটি ভূমিকম্প। বিবিসি ও ডন।মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (নাসা) এবার মঙ্গল গ্রহে নভোযান পাঠাতে যাচ্ছে। আগামী মাসে নতুন একটি অনুসন্ধানী নভোযান পাঠাবে। এটি ম্যাভেন নামের একটি কৃত্রিম উপগ্রহ (স্যাটেলাইট) বহন করবে যা লাল গ্রহটিতে বায়ুমণ্ডল হারিয়ে যাওয়ার কারণ অনুসন্ধান করবে। নভোযানটি আগামী ১৮ নভেম্বর যাত্রা শুরু করে মঙ্গলে পৌঁছাতে প্রায় ১০ মাস সময় নেবে। মঙ্গলপৃষ্ঠের প্রায় ছয় হাজার ১১৫ কিলোমিটার ওপর দিয়ে গ্রহটিকে প্রদক্ষিণ করবে ম্যাভেন। এতে প্রায় এক দশকের জ্বালানি মজুত রয়েছে। বিজ্ঞানীদের আশা, মঙ্গলের বায়ুমণ্ডল হারিয়ে যাওয়ার আগে কেমন ছিল, তা জানাতে পারবে ম্যাভেন। এই অভিযানে ৬৭ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার খরচ হচ্ছে। এএফপি।এয়ারমেইলটমাস ট্রান্সট্রোমার আর রবার্ট ব্লাই সমকালীন বিশ্বসাহিত্যের দুজন বিখ্যাত কবি। প্রথমজন সুইডিশ আর দ্বিতীয়জন মার্কিনি। ১৯৬৪ সালের বসন্তের এক অপরাহে রবার্ট ১৫০ মাইল দূরবর্তী গ্রন্থাগার থেকে টমাসের সদ্য প্রকাশিত কবিতার বই নিয়ে বাড়িতে ফিরতেই পেলেন তাঁর কাছে টমাসের পাঠানো চিঠি। ১৯৬৪ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত পরস্পরকে লেখা দুই কবির মোট ২৯০টি চিঠি নিয়ে বেরিয়েছে সংকলন এয়ারমেইল।সূত্র: ইন্ডিপেনডেন্ট ডট কো ডট ইউকেরিও ডি জেনিরো চলচ্চিত্র উৎসবহয়ে গেল রিও ডি জেনিরো চলচ্চিত্র উৎসব। সেরা ছবির পুরস্কার রেদেন্তোর ট্রফি জিতল যৌথভাবে কারু আলভেজ দে সোউজার দে মেনোর (আন্ডার এজ) আর ফের্নান্দু কোইমব্রার ও লোবু আত্রাস দা পোখতা (উলফ অ্যাট দ্য ডোর)।সূত্র: ফেস্তিবালদুরিউ ডট কমভের্দি দ্বিশতবার্ষিকীভুবনখ্যাত সংগীতস্রষ্টা জিওসেপ্পি ফ্রাঞ্চিসকো ভের্দির (১৮১৩-১৯০১) জন্মের দ্বিশতবার্ষিকী উদ্যাপিত হচ্ছে ইউরোপের বিভিন্ন শহরে এ বছরজুড়ে।সূত্র: রয়টার্সরফিক-উম-মুনীর চৌধুরী বজলুল মোবিন চৌধুরীশিক্ষাবিদ বজলুল মোবিন চৌধুরীর তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী আজ ৩০ ডিসেম্বর। এ উপলক্ষে তাঁর আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের কাছে দোয়া চাওয়া হয়েছে। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। বিজ্ঞপ্তি।সম্মিলন রায়আওয়ামী লীগের নেতা সম্মিলন রায়ের ২০তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ ৩০ ডিসেম্বর। এ উপলক্ষে তাঁর গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার মহিচাইল গ্রামে ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি। |
চরভদ্রাসন উপজেলায় ইয়াং ক্লাব গোল্ডকাপে কাল রাজবাড়ী একাদশ ৫-১ গোলে গোপালগঞ্জ শেখ ফজলুল হক মনি ফুটবল একাডেমিকে হারিয়েছে। —ফরিদপুর অফিসলালমনিরহাটের পাটগ্রাম পৌরসভার সোহাগপুরে ধরলা নদীর ওপর বেইলি সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। সেতুটির তিনটি পাটাতন (স্টিল) দেবে গেছে। যেকোনো মুহূর্তে তা ভেঙে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এর পরও ঝুঁকি নিয়ে সেতুটির ওপর দিয়ে ভারী যান চলাচল অব্যাহত রয়েছে।সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের লালমনিরহাট কার্যালয় থেকে জানা গেছে, সওজের নির্মিত সেতুটি ১৯৯২ সালে চালু করা হয়। ১৪৮ মিটার দীর্ঘ ও ৩ মিটার প্রস্থের এই সেতুটির ওপর পাটাতন বসানো হয়। সেতুটির ওপর দিয়ে বিভিন্ন যানবাহনে উপজেলার জগৎবেড়, পাটগ্রাম, শ্রীরামপুর, জোংড়া ইউনিয়নসহ পৌরসভার তিনটি ওয়ার্ডের অন্তত দেড় লাখ মানুষ যাতায়াত করে। পাশাপাশি পণ্যবাহী ট্রাকসহ বিভিন্ন ধরনের ভারী যানবাহনও এই সেতুর ওপর দিয়েই চলাচল করে। ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠায় কয়েক বছর আগে সেতুটি দিয়ে ভারী যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞাসংবলিত একটি সাইনবোর্ড টাঙানো হয়। এর পরও ভারী যান চলাচল অব্যাহত থাকায় সম্প্রতি সেতুটির তিনটি পাটাতন দেবে যায় এবং বড় বড় ফাটল দেখা দেয়।২৭ অক্টোবর সরেজমিনে দেখা গেছে, সেতুটির পূর্ব ও পশ্চিম পাশের প্রবেশমুখসহ পাটাতনের বিভিন্ন জায়গায় বড় বড় ফাটল এবং তিনটি পাটাতনে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাবাসী জানান, গত জুলাই মাসে সেতুর একটি পাটাতন থেকে আরেকটি পাটাতনের মাঝখানের এক থেকে দেড় ফুট অংশ দেবে যায়। পরে আরও দুটি পাটাতন দেবে যায়।পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. আজিজুল হক বলেন, কয়েক বছর আগে ভারী যান চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞাসংবলিত একটি সাইনবোর্ড টাঙায় সওজ কর্তৃপক্ষ। এর পরও ভারী যানবাহন চলাচল অব্যাহত থাকায় পাটাতন দেবে গেছে এবং ফাটল দেখা দিয়েছে। এখনো ভারী যান চলাচল অব্যাহত থাকায় যেকোনো মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।এ ব্যাপারে সওজের লালমনিরহাট কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী সুরুজ মিয়া বলেন, সেতুটির যেসব পাটাতনে ফাটল ধরেছে, সেসব পাটাতনের একটি কিছুদিন আগে মেরামত করা হয়। সেতুটি কংক্রিট দিয়ে নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে একটি প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলেই সেতুটি পুনর্নির্মাণ করা হবে।যখন সিনেমা, গল্প, অভিনয়, নায়ক-নায়িকা কাকে বলে বুঝতে শুরু করিনি, তখনই সিনেমা দেখতে শুরু করেছি। আমার মা সিনেমা দেখতে খুব ভালোবাসতেন। তাঁর সঙ্গেই প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে সিনেমা দেখতাম। শুধুই দেখতাম! সে সময়ের দেখা পৃথিবী আমারে চায়, দীপ জ্বেলে যাই চলচ্চিত্রগুলো আমার প্রিয়।তারপর যখন আরেকটু বড় হলাম, প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে ছবি দেখার উৎসাহটা দমে গেল। তবু যে কয়টা ছবি দেখেছিলাম, বেশ ভালো লেগেছিল। সে সময়ের দেখা হাসপাতাল, হারানো সুর, লুকোচুরি, শিল্পী প্রভৃতি চলচ্চিত্রের প্রতি একই রকম ভালো লাগা রয়ে গেছে।এরপর ধীরে ধীরে যখন নিজস্ব পছন্দ তৈরি হলো, প্রিয় চলচ্চিত্রের তালিকা আরও দীর্ঘ হলো। তালিকার প্রথমেই রয়েছে সত্যজিৎ রায়ের পথের পাঁচালী। এই চলচ্চিত্রে অপু-দুর্গার অভিনয় চোখের কোণ ভিজিয়ে দেয়। সত্যজিৎ রায়ের পরিচালনায় অন্য ছবিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভালো লাগে হীরক রাজার দেশে। চলচ্চিত্রটি কতবার দেখেছি, মনে নেই। আজও এর সব কটি গান মুখস্থ! আর ভালো লাগে গুপি গাইন বাঘা বাইন চলচ্চিত্রটি।দেশীয় চলচ্চিত্রের মধ্যে বেশ ভালো লেগেছিল নয়নতারা ছবির নির্মাণশৈলী। ভালো লেগেছিল গোলাপী এখন ট্রেনে ছবিটি। এককথায় অসাধারণ! এ রকম জীবনঘনিষ্ঠ সিনেমা বহুবার দেখা যায়। এখানে ববিতার অভিনয় দেখে মুগ্ধ হয়েছি।সে সময় আরেকজন শিল্পীর অভিনয় আমাকে চলচ্চিত্র দেখতে উৎসাহিত করেছিল; তিনি কবরী সারোয়ার। বেশ প্রাণবন্ত অভিনয় করতেন তিনি। এখনো যখন টেলিভিশনে তাঁর অভিনীত ছবি দেখি বা ছবির গান দেখি, অভিভূত হয়ে যাই।২০০৩ বা ২০০৪ সালে একটা চলচ্চিত্র দেখেছিলাম। দ্য স্কুল অব রক। একজন সংগীতশিল্পী আর তার ব্যান্ড দল নো ভেকেন্সি নিয়ে এর কাহিনি। ছবিটি আমার মধ্যে তৈরি করেছে অন্য রকম ভালো লাগা। সংগীতনির্ভর একটি সিনেমার কথা এই মুহূর্তে মনে পড়ছে। নাম সুর সঙ্গম। আমার জীবনের অধিকাংশ সময়ই কেটেছে গানের ভুবনে। তাই হয়তো সংগীতনির্ভর এই চলচ্চিত্র মনে দাগ কেটেছিল।আরেকটি প্রিয় চলচ্চিত্র মাদার ইন্ডিয়া। চলচ্চিত্রটি ভাবিয়ে তুলেছিল আমার চেতনাকে। এক সাহসী মায়ের জীবনসংগ্রাম। আমার জীবনে নতুন দর্শনের জন্ম দিয়েছিল। সেখানে নার্গিসের অভিনয় ছিল অসাধারণ!চলচ্চিত্রশিল্পীদের মধ্যে আমার প্রথম পছন্দ উত্তমকুমার আর সুচিত্রা সেন জুটি। তাঁদের ছবি আমার এত ভালো লাগে যে আজও এই জুটির বাইরে মেনে নিতে পারিনি অন্য কোনো জুটিকে।নতুনদের মধ্যে মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর চলচ্চিত্র বেশ ভালো লাগছে আমার। সেই সঙ্গে মোশাররফ করিম আর তিশার অভিনয়ও এককথায় অনবদ্য।অনুলিখন: সুচিত্রা সরকারযৌথ খামার হয়, ব্যাংকে যৌথ অ্যাকাউন্ট হয়, যৌথ প্রযোজনায় মুভি হলে কেন যৌথ টক শো সম্ভব নয়? আমাদের টক শোর ইদানীং যে অবস্থা, অল্প কজন বক্তাকে ঘুরেফিরে সব চ্যানেল কাভার করতে হয়। এতে তাঁদের ওপর যেমন অতিরিক্ত শারীরিক চাপ পড়ছে, সেই সঙ্গে চ্যানেলওয়ালাদের ওপরও পড়ছে একটা বাড়তি মানসিক চাপ। এর ফলে কিছুদিনের মধ্যেই যে বক্তারা উল্টাপাল্টা বলা শুরু করবেন না, কে জানে! এ ক্ষেত্রে টক শোর বক্তা এবং চ্যানেল— দুপক্ষকেই বাঁচাতে রস+আলোর একটি প্রস্তাব আছে। আপনারা একটা যৌথ টক শোর আয়োজন করুন। সব চ্যানেল একসঙ্গে কাভার করবে, অন এয়ার করবে। যে চ্যানেলের যে বক্তার কথা ভালো লাগবে, তারা সেটুকু দেখাবে। প্রয়োজনে সঞ্চালকও একাধিক হতে পারেন। সকাল থেকে মধ্য-রাত অবধি চলবে। এক ঘণ্টা পর পর নতুন নতুন বক্তা আসবেন। আগের বক্তারা বিশেষ খামটা নিয়ে একটু বাইরে গিয়ে হাওয়া-বাতাস খেয়ে আবার অংশ নেবেন। এতে কারও ওপর কোনো অতিরিক্ত চাপ পড়ার সম্ভাবনা নেই।পাইরেটস অব দ্য নারায়াণগঞ্জ |
ভারতের মুম্বাইতে শুক্রবারের ভবনধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫০। এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে অনেকে আটকা পড়ে আছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ভবনটি ধসের কারণ এখনো জানা যায়নি।উদ্ধারকর্মীরা ভারী যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। ঘটনার প্রায় ১২ ঘণ্টা পর এক কিশোরীকে উদ্ধারকর্মীরা জীবিত উদ্ধার করেন।ঘটনাস্থলে প্রীতি পাওয়ার নামের এক নারী বলেন, ‘আমার পরিবারের পাঁচজন এ বাড়ির নিচে চাপা পড়েছে। এর মধ্যে দুজন জীবিত বেরিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছে। আমি প্রার্থনা করছি, যেন বাকিরা জীবিত বেরিয়ে আসতে পারে।’পুলিশ ভবনটির নিচতলায় অফিস ভাড়া নেওয়া এক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে। তিনি অবৈধভাবে সেখানে সংস্কারকাজ করেছিলেন।সরকারি কর্মকর্তারা এর আগে বলেছিলেন, পূর্ব মুম্বাইয়ের মাজগাঁও এলাকায় অবস্থিত বাড়িটি ধসে ৯০ জন মানুষ চাপা পড়েছে।ভারতের বাণিজ্যিক রাজধানী মুম্বাইতে সাম্প্রতিক সময়ে কয়েকটি ভবনধসের ঘটনা ঘটেছে। শুধু এপ্রিল থেকে জুন মাসের মধ্যে এ নগরে পাঁচটি ভবন ধসে ১০০ জনের বেশি মানুষ মারা যায়। অনেক ঘটনাতেই নিম্নমানের নির্মাণকাজের অভিযোগ ছিল।মুম্বাইতে জমির দাম ও ভাড়ার হার এশিয়ার অন্যতম সর্বোচ্চ। এ কারণে সেখানকার অনেক মানুষ পুরোনো জরাজীর্ণ ভবনে বাস করতে বাধ্য হন। বিবিসি, টাইমস অব ইন্ডিয়া।রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় তিনজন নিহত ও ১৩ জন আহত হয়েছেন। বদরগঞ্জ-পার্বতীপুর সড়কের ভেলাকোবা সেতুর কাছে গত সোমবার রাতে এই দুর্ঘটনা ঘটে।নিহত ব্যক্তিরা হলেন বদরগঞ্জের রামনাথপুর বাকশাপাড়া গ্রামের ভ্যানচালক আবু মোতালেব (৩৫), মোকসেদপুর ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের পবি রায় (১৮) ও দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার জমিরহাট এলাকার গৃহবধূ বিলকিছ বেগম (৪৫)।গত সোমবার রাত ১১টার দিকে উপজেলার রামনাথপুর বালাপাড়া গ্রামে একটি বাড়িতে আয়োজিত একটি বিয়ের অনুষ্ঠান শেষে বরযাত্রীবাহী একটি মাইক্রোবাস পার্বতীপুরের জমিরহাটের দিকে যাচ্ছিলেন। ভেলাকোবা সেতুর কাছে পৌঁছালে মাইক্রোবাসটি বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ভ্যানকে চাপা দিয়ে সড়কের পাশে খাদে পড়ে যায়। এতে ভ্যানযাত্রী পবি রায়, ভ্যানচালক আবু মোতালেব ও বরযাত্রী বিলকিছ বেগম মারা যান। দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত পার্বতীপুর জমিরহাট এলাকার বরযাত্রী মোরশেদা বেগম (৪৫), সুলতানা বেগম (৩৫) ও হাসান আলীকে (৩০) রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং সাগর (৩০), রেহেনা বেগম (৪৫), আবদুর রাজ্জাক (২৫) ও আমিনুর রহমানকে (৩৫) বদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।বদরগঞ্জ থানার ওসি জাহিদুর রহমান চৌধুরী জানান, এই ঘটনায় থানায় অপমৃত্যুর মামলা করা হয়েছে। বিদুষী গিরিজা দেবী। বেনারস ঘরানার প্রধান শিল্পী। ঠুমরি, দাদরা, টপ্পা, কাজরি, ভজনের তিনি অবিসংবাদিত শিল্পী। সংগীতে অবদানের জন্য পেয়েছেন পদ্মভূষণ, পদ্মশ্রীসহ বহু সম্মাননা। বেঙ্গল উচ্চাঙ্গসংগীত উৎসবের প্রথম দিনে গতকাল বৃহস্পতিবার ছিল তাঁর পরিবেশনা। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকার একটি হোটেলে প্রথম আলোর সঙ্গে কথা বলেন তিনি।বেঙ্গল উচ্চাঙ্গসংগীত উৎসবে এসে আপনার অনুভূতি...এবার উৎসবে এসে খুবই ভালো লাগছে। এ নিয়ে বাংলাদেশে দুবার আসা হলো আমার। গতবার উৎসবে এসে শ্রোতাদের যে আগ্রহ আর উচ্ছ্বাস দেখেছি, আমার এই ৮৫ বছরের জীবনে সেটি অমূল্য এক সঞ্চয়। এবার লোকসমাগম আরও বেশি হবে বলে শুনেছি। নিবন্ধনও আগের চেয়ে বেশি হয়েছে। উচ্চাঙ্গসংগীতের প্রসারে এ এক বিরাট উদ্যোগ।উচ্চাঙ্গসংগীতে বাংলাদেশের সম্ভাবনা...এ দেশে অনেক আগে থেকেই উচ্চাঙ্গসংগীত ছিল। বাবা ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ, ওস্তাদ বেলায়েত হোসেন খাঁ তো এই মাটিরই সন্তান। হ্যাঁ, স্বীকার করি, মাঝখানে এখানে উচ্চাঙ্গসংগীতের চর্চায় কিছুটা ভাটা পড়েছিল। তবে আমার বিশ্বাস, উচ্চাঙ্গসংগীত উৎসবসহ নানা আয়োজনের মাধ্যমে এই ধারার গানের প্রসার বাড়বে। আমি খুবই আশাবাদী।বাংলাদেশের গান, বাংলা গান সম্পর্কে আপনার ধারণা...আমি কিন্তু বাংলা গানের ভক্ত। বাংলা ভাষার অজস্র গান শুনেছি। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গান, লোকসংগীত—বিশেষত লালনের গান আমার ভীষণ পছন্দের। আর মাঝির গান (ভাওয়াইয়া) শুনি আকুল হয়ে। বাংলাদেশ যে সুরের দেশ, এটা আমি জানি।উচ্চাঙ্গসংগীতের রূপ আমার কাছে যেমন...উচ্চাঙ্গসংগীত বলতে আমি সুরকে বুঝি। এটা এমন এক মোহনীয় সংগীত, যা মুহূর্তে মানুষের হূদয়ে পৌঁছে অন্তর হরণ করতে পারে। রাম-রহিমের বিভেদ ভুলিয়ে দেয় এই গান। এর মাধ্যমে ঈশ্বরকে পাওয়াও সম্ভব।বয়স ৮৫, তবু এখনো গানের টানে...যখন গান করি, আমি যেন একদম শিশুর মতো হয়ে যাই। কী যে আনন্দ হয় তখন! ভেতরে স্বর্গীয় এক অনুভূতি কাজ করে।তুমি এখন দূর অভিযাত্রায়, আর আমি এখানে বসে নিরন্তর ভাবছি তোমার কথা। অনুভব করছি তোমার অনুপস্থিতি। মন হয়ে আছে বিষাদমগ্ন। জানো, একটা কথা শুনে আমি অবাক হই না। অনেকেই বলে, তোমার আর আমার চেহারায় নাকি সাদৃশ্য এসে গেছে, কারণ আমাদের দুজনের পরিচয়-পরবর্তী দীর্ঘ সময়ে আমরা পরস্পরের প্রতি ভীষণ রকম অভ্যস্ত হয়ে পড়েছি। কিন্তু কথাটা যে কী উদ্ভট, ভেবে দেখেছ? তোমার আর আমার চেহারায় কী এমন মিল থাকতে পারে, বলো তো? আমার নাক স্পষ্টতই রোমান ধাঁচের, আর তোমার মুখমণ্ডলে নাকের জায়গায় আলুসদৃশ কী একটা বসানো। আমার ঘন কালো চুল কাঁধের ওপরে ছড়িয়ে থাকে সুশোভন ভঙ্গিতে, আর তোমার মাথার ওপরে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা বিরল চুল ক’টি খুঁজে বের করতে প্রয়োজন ইলেকট্রনিক মাইক্রোস্কোপ। দীর্ঘ অক্ষিপক্ষসমৃদ্ধ আমার নীলাভ ডাগর চোখ জাদুগ্রস্ত করে পথচারীদের, আর তোমার ইঁদুরের মতো চোখ দুটো অন্যদের মনে মৃত্যুভীতি সঞ্চার করতে সক্ষম। এর পরেও অনেকে জোর গলায় দাবি করে, তোমার-আমার চেহারায় অনেক সাদৃশ্য। জানো, প্রিয়, আমার মনে হয়, আমাদের সাদৃশ্য ভালোবাসায়। |
ডোরেমন আর অ্যাংরি বার্ডের ধাক্কায় মীনা কোথায় ভেসে গেছে। এখন আর কেউ মীনা খোঁজে না।’ কথাগুলো বলছিলেন রাজধানীর বেইলি রোডের বই বিচিত্রা লাইব্রেরির বিক্রয়কর্মী সাখাওয়াৎ হোসেন। মীনা কমিক বইয়ের খোঁজ করতে তিনি জানালেন, তাঁর দোকানে মীনা কমিক বই নেই। তিনি বলেন, স্যাটেলাইট চ্যানেলগুলোতে যেসব কার্টুন দেখায়, সেসব বইয়ের চাহিদা বেশি। আগে যখন টিভিতে মীনা কার্টুন দেখাত, তখন মীনার কমিক বইয়ের অনেক চাহিদা ছিল। এখন চাহিদা বলতে গেলে নেই। তাই মীনার বইও আর রাখা হয় না।একই কথা জানালেন বেইলি রোডের বিদ্যা ভবন দোকানের বিক্রয়কর্মী শাহাদাত হোসেন।জনপ্রিয়তার কারণে মীনা কার্টুন পোস্টার, বই এবং ভিডিও সিডি-ডিভিডি আকারে প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু সেসব আর আগের মতো সহজলভ্য নয়। এদিকে মীনার এসব সামগ্রী বিনা মূল্যে শিশুদের পাওয়ার কথা থাকলেও তা পাচ্ছে না তারা। বই ও সিডি-ভিসিডির দোকানগুলোতে বিক্রি হয়েছে মীনার পোস্টার, বই, ভিডিও, সিডি ও ডিভিডি। সরকারের এসব ব্যাপারে নজরদারির কথা থাকলেও সেটা একেবারেই নেই বলে জানান রাজধানীর বিভিন্ন দোকানের বিক্রয়কর্মীরা। রাজধানীর নিউমার্কেটের গ্রন্থকলি বইয়ের দোকানের বিক্রয়কর্মী ইকবাল হোসাইন বলেন, মীনা এখন অচল একটি আইটেমের নাম। টিভিতে যখন মীনা কার্টুনটি নিয়মিত প্রচারিত হতো, তখন কিংবা তার কাছাকাছি সময়টাতে এসব বইয়ের চাহিদা ছিল অনেক বেশি। এখন এর চাহিদা একেবারে কমে এসেছে।কিন্তু মীনা কার্টুন সিরিজের বইগুলো তো বিক্রির জন্য নয়। এগুলো তো বিনা মূল্যে বিতরণের জন্য। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ইকবাল বলেন, ‘আমরাও জানি ব্যাপারটা। কিন্তু আমরা যখন কিনে আনি, তখন তো আমরা বিক্রিই করব, নাকি?’ এ ব্যাপারে সরকারিভাবে এবং ইউনিসেফকে আরও বেশি নজরদারি বাড়াতে হবে। মজার ব্যাপার হলো, মীনা কার্টুনের এই বইগুলো যে কোথা থেকে আসে, তা আমরা নিজেরাও জানি না। বিভিন্ন ফুটপাতেও এসব বই দেদার বিক্রি হচ্ছে।’নিউমার্কেটের হাফিজ বুক সেন্টারে মীনার কমিক বইগুলো চাইলে দোকানি ভেতর থেকে বেশ কয়েকটি বই বের করে দিলেন। বইগুলোর ওপর ধুলাবালির আস্তর জমে আছে। দোকানি নিজে থেকেই জানালেন, এখন তো মীনা কমিক বইয়ের চাহিদা নেই। তাই খুব বেশি রাখাও হয় না। টিভিতে নানা ধরনের কার্টুন প্রচারিত হচ্ছে। বাচ্চারা এখন সেসব কার্টুনই দেখছে। তবে মীনা কার্টুন কিন্তু সব শ্রেণীর মানুষের কাছে দারুণ জনপ্রিয়। তাই এই কার্টুন সিরিজটিকে নিয়ে যদি নতুন করে কিছু ভাবা হয়, তাহলে এটি আরও বেশি মানুষের কাছে পৌঁছাবে। বিটিভির পাশাপাশি স্যাটেলাইট টেলিভিশনগুলোতে মীনা কার্টুন প্রচারের ব্যবস্থা করতে হবে।মীনা কমিক বইয়ের চাহিদা কমে গেলেও সিডির চাহিদা নিয়ে দুই ধরনের মত প্রকাশ করল বসুন্ধরা, ধানমন্ডি ও বনানীর কয়েকটি সিডি ক্যাসেট বিক্রয় প্রতিষ্ঠান। বসুন্ধরা বেস্টি মিউজিক প্রতিষ্ঠানের বিক্রয়কর্মী শাহেদ হোসেন বলেন, মীনা কার্টুন সিরিজটির প্রতি বাচ্চাদের পাশাপাশি অভিভাবকদের বেশ আগ্রহ আছে। এই কার্টুন সিরিজের বিক্রিও বেশ ভালো।মিউজিক গার্ডেনের রফিকুল হক বলেন, মীনা কার্টুনের সিডি ও ভিসিডি বিক্রি বেশ ভালো।তবে ধানমন্ডির এ আর প্লাজার সিডি ভিসতা দোকানের মালিক রায়হান রাইদ জানান, তাঁরা একটা সময় মীনা কার্টুন সিরিজের অসংখ্য সিডি বিক্রি করেছেন। এখন আর সেই অবস্থা নেই।বনানীর ফাহিম মিউজিকের কর্মকর্তা হারুনুর রশীদ বলেন, এখন নতুন নতুন অনেক কার্টুনের সিডি এসেছে, যার ফলে মীনা কার্টুনের চাহিদা অনেকটাই কম।বিটিভির পাশাপাশি একটা সময় দেশের স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেল এনটিভি এবং দেশ টিভিও মীনা কার্টুন প্রচার করে। কিন্তু মীনা কার্টুনের পর্বসংখ্যার স্বল্পতার কারণে জনপ্রিয়তা থাকা সত্ত্বেও অনুষ্ঠানটি আর নিয়মিত প্রচার করা সম্ভব হয়নি বলে জানালেন এসব চ্যানেলের অনুষ্ঠান বিভাগের প্রধানেরা।এনটিভির অনুষ্ঠান বিভাগের প্রধান মোস্তফা কামাল সৈয়দ প্রথম আলোকে বলেন, ‘ঠিক মাস, তারিখটা এই মুহূর্তে মনে পড়ছে না। তবে ২০০৫ সালে সম্ভবত আমরা প্রথম মীনা কার্টুন সিরিজটি এনটিভির পর্দায় প্রচার শুরু করি। এটা যেহেতু আমাদের নিজস্ব অনুষ্ঠান নয়, তাই ইউনিসেফ কর্তৃপক্ষ আমাদের যে পর্বগুলো সরবরাহ করত, আমরা সেগুলো প্রচার করতাম। শুধু তা-ই নয়, আমরা এই কার্টুন সিরিজ এনটিভিতে পুনঃপ্রচারও করেছি। আমরা যদি কার্টুন সিরিজটি নিয়মিত পাই, তাহলে আমাদের নিয়মিতভাবে প্রচার করতে কোনো আপত্তি নেই।’দেশ টিভির অনুষ্ঠান বিভাগের প্রধান (চলতি) রবিউল করিম প্রথম আলোকে বলেন, ‘মীনা অনেক জনপ্রিয় এবং শিক্ষামূলক একটি কার্টুন সিরিজ। দেশ টিভিতে ২০০৯ সালের মার্চে প্রথম এটির প্রচার শুরু করি। যে কটি পর্ব আমরা হাতে পেয়েছি, ঠিক ততগুলোই প্রচার করেছি। এ বছরের মার্চেও আমরা বেশ কয়েকটি পর্ব পেয়েছিলাম। শিশুদের কথা ভেবে সেগুলোও বেশ গুরুত্বের সঙ্গে আমরা প্রচারে উদ্যোগী হয়েছি। নিয়মিত সরবরাহ পেলে মীনা কার্টুন প্রচার করতে কোনো আপত্তি নেই।’বাংলাদেশ টেলিভিশনের পরিচালক অনুষ্ঠান ও পরিকল্পনা বিভাগের প্রধান গোলাম সফিউদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘মাত্র দুই মাস হলো আমি দায়িত্বে এসেছি। বিটিভিতে এখন ২৭০টির মতো নিয়মিত অনুষ্ঠান চলছে। এরই মধ্যে মীনা কার্টুনকে আবার নতুন করে চালুর ব্যাপারে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের বলা হয়েছে।’এ ব্যাপারে শিক্ষাসচিব কামাল আবদুল নাসের বলেন, ‘মীনাকে কীভাবে আরও বেশি জনগণের কাছে পৌঁছানো যায়, আমি মনে করি, ব্যাপারটি নিয়ে আরও ভাবা উচিত। কারণ, আমাদের দেশে মেয়েদের শিক্ষার উন্নয়নে মীনা কার্টুন কিছুটা হলেও ভূমিকা রেখেছে। স্কুলগুলোতে যাতে মীন কমিক বই বিনা মূল্যে দেওয়া হয়, সে ব্যাপারে আমরা উদ্যোগ নেব।’বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮-দলীয় জোটের হরতালের তৃতীয় দিনে গতকাল মঙ্গলবার সৈয়দপুর সরকারি কারিগরি মহাবিদ্যালয় (টেকনিক্যাল কলেজ) চত্বর থেকে তিনটি বোমাসদৃশ বস্তু উদ্ধার করা হয়েছে। পরে পুলিশ এসে সেগুলো উদ্ধার করে নিয়ে যায়।মহাবিদ্যালয়ের নৈশপ্রহরী আবদুস সাত্তার জানান, সকালে তিনি প্রথম বোমাসদৃশ বস্তু তিনটি দেখতে পান। শিশুদের খেলার বস্তু ভেবে নিজ হাতে সেগুলো মহাবিদ্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে একটু দূরে সরিয়ে রেখে সহকর্মী মাহফুজার রহমানকে ডেকে দেখান। পরে বিষয়টি মুঠোফোনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ আমির আলী আজাদকে জানানো হয়। অধ্যক্ষ ঘটনাটি পুলিশকে জানান। খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল এসে পানিভর্তি বালতিতে সেগুলো রেখে নিষ্ক্রিয় করে।পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বোমাসদৃশ বস্তুগুলোতে বৈদ্যুতিক তার ও একটি ছোট সার্কিটও দেখা গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, দূর থেকে রিমোর্ট কন্ট্রোলের মাধ্যমে এগুলোর বিস্ফোরণ ঘটিয়ে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির পরিকল্পনা ছিল দুর্বৃত্তদের। গত সোমবার রাতের কোনো একসময় কে বা কারা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির প্রধান ফটকে এগুলো রেখে যায়।সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সহিদার রহমান বোমাসদৃশ বস্তু উদ্ধারের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, মূলত আতঙ্ক ছড়াতেই এগুলো ওখানে রাখা হয়েছিল।থাইল্যান্ডে চলমান সরকারবিরোধী আন্দোলনের মধ্যেও গতকাল বৃহস্পতিবার পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটে টিকে গেছেন প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রা।তবে তাঁর পদত্যাগের দাবিতে বিরোধীদের আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে। বেশ কয়েকটি মন্ত্রণালয় অবরোধের পর গতকাল রাজধানী ব্যাংককে পুলিশ সদর দপ্তরের বিদ্যুৎ বিছিন্ন করে দিয়েছে বিক্ষোভকারীরা।বিরোধী দল ডেমোক্র্যাট পার্টি পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে অনাস্থা ভোটের প্রস্তাব আনলেও সংখ্যাগরিষ্ঠ ইংলাকের দল পুয়ে থাই পার্টি সহজে জয়ী হয়। স্পিকার সোমসাক জানান, ইংলাকের পক্ষে ২৯৭ এবং বিপক্ষে ১৩৪ ভোট পড়ে।বিরোধীদের অভিযোগ, ইংলাক তাঁর বড় ভাই ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার হাতের পুতুল। থাকসিনের নির্দেশেই চলছে সরকার। দুর্নীতিতে ডুবে গেছে ইংলাকের সরকার। তাঁকে পদত্যাগ করতে হবে।দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত থাকসিনকে দায়মুক্তি দেওয়ার উদ্দেশ্যে একটি বিল পাসের চেষ্টা করেন ইংলাক। এর প্রতিবাদেই গত রোববার থেকে নতুন করে বিক্ষোভ শুরু হয়। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন ইংলাক।গতকাল অনাস্থা ভোটে টিকে যাওয়ার পর জাতির উদ্দেশে টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিক্ষোভ বন্ধ করে ঘরে ফিরে যান। সরকারি কার্যালয়গুলো অবরোধমুক্ত করে দিন। কর্মকর্তাদের প্রজাতন্ত্রের সেবা করতে দিন। আমাদের সরকার সংঘাত চায় না। বরং চলমান সমস্যা সমাধানে সর্বাত্মক সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত।’থাইল্যান্ডে সরকারবিরোধী আন্দোলন নতুন কিছু নয়। ২০১০ সালের সহিংস আন্দোলনের পর এটি সরকারবিরোধী সবচেয়ে বড় আন্দোলন।ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি মন্ত্রণালয় অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে। এ ছাড়া ২৫টি প্রদেশের স্থানীয় সরকারের কার্যালয় ঘেরাও করে রেখেছে বিক্ষোভকারীরা।পুলিশের মুখপাত্র আনুচা রমিয়ানান বলেন, গতকাল বিক্ষোভকারীরা পুলিশ সদর দপ্তরের বাইরের বিদ্যুতের কয়েকটি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। এতে সদর দপ্তরে বিদ্যুৎ সরবরাহ বিছিন্ন হয়ে পড়ে। এ ছাড়া সদর দপ্তরের লাগোয়া একটি হাসপাতালের বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেয় বিক্ষোভকারীরা।ইংলাকের সরকারকে পদত্যাগ করে অনির্বাচিত ‘পিপলস কাউন্সিলের’ হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবি জানিয়ে আসছে বিক্ষোভকারীরা। এ দাবি নাকচ করে ইংলাক বলেছেন, সংবিধান অনুযায়ী তা মানা সম্ভব নয়।সরকারবিরোধী এই আন্দোলন এখনো শান্তিপূর্ণই আছে। তবে সহিংসতায় রূপ নিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ২০১০ সালে সংঘর্ষে অন্তত ৯০ জন নিহত হয়েছিল।থাইল্যান্ডে চলমান এই আন্দোলনে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন। অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে দেশটির সব দলকে আইন ও মানবাধিকারের প্রতি সম্মান দেখানোর অনুরোধ জানান তিনি।থাকসিন সিনাওয়াত্রা ২০০৬ সালে সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে থাকসিন ক্ষমতাচ্যুত হন। তখন থেকে থাইল্যান্ডে বেশ কয়েকবার রাজনৈতিক অস্থিরতা দেখা দেয়। প্রথমে শান্তিপূর্ণ থাকলেও পরে তা সহিংস রূপ ধারণ করে। ২০১০ সালের রক্তাক্ত বিক্ষোভের পর থেকে সবচেয়ে বড় ধরনের সংকট চলছে দেশটিতে। এএফপি ও রয়টার্স।বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের সমস্যা ছিল এক নক্ষত্রপুঞ্জকে নিয়ে। ‘নক্ষত্রপুঞ্জ, কী হয়েছে তোমার? কেমন কুয়াশাচ্ছন্ন দেখাচ্ছে তোমাকে...’‘আর বোলো না! এক সূর্যকে নিয়ে ফ্যাসাদে পড়েছি...’নক্ষত্রপুঞ্জের সমস্যা ছিল এক সূর্যকে নিয়ে। ‘সূর্য, তোমার শরীরে ওই দাগটা কেন?’‘আর বোলো না! পৃথিবীটাকে নিয়ে বিপদে আছি...’সূর্যের সমস্যা ছিল এক পৃথিবীকে নিয়ে। ‘পৃথিবী, হচ্ছেটা কী তোমার ওখানে?’‘আর বোলো না! একটা লোক...’পৃথিবীর সমস্যা ছিল এক লোককে নিয়ে।‘এই যে লোক, কী হয়েছে তোমার?’‘ঈশ্বর জানে! মনে হয়, একটা জুতো খুব টাইট দিচ্ছে পায়ে...’একটামাত্র জুতো, অথচ সমস্যা সৃষ্টি করেছে বিশ্বব্রহ্মাণ্ড জুড়ে। |
ইন্দোনেশিয়ায় অনুষ্ঠানরত প্রতিযোগিতায় আর্চারির দলগত ইভেন্টে কাল আজারবাইজানের কাছে হেরে শেষ আটে বিদায় নিয়েছে বাংলাদেশ।কোনো স্থানে সাপ থাকলে মানুষ তা দ্রুত টের পেয়ে যায় এবং সম্ভাব্য বিপদ সম্পর্কে তার মনে ভীতি তৈরি হয়। একই রকম প্রবণতা দেখা যায় বানর ও বনমানুষের ক্ষেত্রেও। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া ইউনিভার্সিটির গবেষকেরা বলছেন, জন্মগতভাবেই মানুষসহ এসব প্রাণীর মস্তিষ্কের কিছু নির্দিষ্ট কোষ থাকে, যেগুলো দ্রুত সাপ শনাক্ত করে এ ধরনের ভীতি তৈরি করে। প্রসিডিংস অব দ্য ন্যাশনাল একাডেমি অব সায়েন্সেস সাময়িকীতে প্রকাশিত একটি গবেষণা প্রতিবেদনে এ ব্যাপারে নতুন প্রমাণ উপস্থাপন করা হয়েছে। গবেষকেরা জাপানের একটি খামারের কয়েকটি বানর নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালান, যেগুলো কখনোই সাপের সংস্পর্শে আসেনি। কিন্তু সাপ দেখামাত্র বানরগুলোর মস্তিষ্কের শ খানেক স্নায়ুকোষ (নিউরন) উত্তেজিত হয়। মানুষের ক্ষেত্রেও একই ধরনের প্রতিক্রিয়া হতে পারে। এএফপি।কৌশিকী চক্রবর্তী। উচ্চাঙ্গসংগীতের মেধাবী শিল্পী। সংগীতে হাতেখড়ি মা চন্দনা চক্রবর্তীর কাছে। এসআরএ বৃত্তি নিয়ে ১৯৯২ সাল থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত বাবা পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তীর কাছে তালিম নেন। পেয়েছেন অসংখ্য পুরস্কার। নতুন প্রজন্মের মাঝে উচ্চাঙ্গসংগীতকে জনপ্রিয় করার ব্যাপারে তাঁর কিছুটা ভূমিকা রয়েছে। গতকাল সংগীত পরিবেশনের আগে প্রথম আলোর সঙ্গে কথা বলেন তিনি।গত বছরের আর এবারের উৎসবের মধ্যে পার্থক্য...পার্থক্য বিস্তর। নানা কারণে গত বছর উৎসবে আসা থেকে যাঁরা বঞ্চিত হয়েছেন, এবার তাঁরা অনেক আগে থেকে উৎসবে আসার প্রস্তুতি নিয়েছেন। বাংলাদেশের মানুষ দীর্ঘ এক বছর ধরে অপেক্ষা করেছেন—কখন আবার উচ্চাঙ্গসংগীতের এই উৎসব হবে, তাঁরা যোগ দেবেন; এটা কিন্তু বিরাট এক পার্থক্য।তারুণ্যের জয়জয়কার...গতবারের উৎসবে দেখেছি প্রচুর তরুণ শ্রোতা রাত জেগে বিভিন্ন পরিবেশনা উপভোগ করছেন। উচ্চাঙ্গসংগীতের উৎসবে তরুণদের বিপুল অংশগ্রহণ দেখে আমি মুগ্ধ। উচ্চাঙ্গসংগীত সম্পর্কে অনেক দিন ধরেই ধারণা এমন—এটা চল্লিশোর্ধ মানুষের সংগীত, এই সংগীতে মজতে হলে বিশেষ শিক্ষার দরকার হয়। এটা ভুল ধারণা। আমি কি কেবল চল্লিশোর্ধ মানুষের জন্য গান করব, আমার প্রজন্মের মানুষেরা আমার গান শুনবে না? হ্যাঁ, প্রবীণদের অবশ্যই আমি গান শোনাতে চাই। তবে আমার প্রজন্মকেও তো শোনাতে হবে।আমার ভাবনায় উচ্চাঙ্গসংগীত...উচ্চাঙ্গসংগীত সবার জন্য। উচ্চাঙ্গসংগীত আমার ধ্যান-জ্ঞান। তবে আমি মনে করি না, এ ধারার সংগীত করলে দরজা-জানালা সবকিছু বন্ধ করে দিতে হবে। বরং উচ্চাঙ্গসংগীতের মৌলিকত্ব ঠিক রেখে শিল্পীর গায়কির মধ্যে তার সময়কে ধারণ করা যেতে পারে। আর এটা যথাযথ সম্ভব হলে তরুণেরা এ সংগীতের প্রতি আরও আকৃষ্ট হবেন।সাধনা না তারকাখ্যাতি?সংগীতের সঙ্গে সাধনার একটা গভীর সম্পর্ক আছে। কিন্তু আমরা এখন সাধনার চেয়ে তারকাখ্যাতিকে বেশি মূল্য দিচ্ছি। আমাদের প্রজন্মের মধ্যে এই প্রবণতা খুব বেশি। আমি কিন্তু ‘তারকা’ শব্দে বিশ্বাসী নই। আসলে সাধনা করতে করতে যাঁরা উঁচু স্তরে পৌঁছে যান, আমার কাছে তাঁরা ‘তারকা’ নন, ‘লিজেন্ড’। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন: আলতাফ শাহনেওয়াজ, ছবি তুলেছেন খালেদ সরকারএকে অপরের দিক থেকে চোখ ফেরাতে পারছে না তারা। যেন তাদের জন্য চারপাশে নেই অরণ্যের উপস্থিতি, নেই রৌদ্র, তৃণভূমি। সমগ্র বিশ্বচরাচর স্থান করে নিয়েছে তাদের চোখের মণিতে।সম্মোহিতের মতো বসে আছে তারা মুখোমুখি এক ঘণ্টা, দুঘণ্টা, তিন ঘণ্টা...তারা জানে না, কতক্ষণ। তাদের জন্য থেমে আছে সময়।আর ধৈর্য ধরে রাখতে পারল না খরগোশ। বুলেট-গতিতে ঢুকে পড়ল অজগরের হাঁ-করা মুখের ভেতর।গলফ = টাইগার উডস সিদ্দিকুরসিদ্দিকুর রহমান, গলফারক্যারিকেচার: আসিফুর রহমান |
ভারতের ক্ষমতাসীন কংগ্রেস দলের সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী বলেছেন, প্রস্তাবিত অধ্যাদেশের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর অবস্থানের প্রতি দলের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। শুক্রবার টেলিফোনে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত মনমোহন সিংকে এ আশ্বাস দেন তিনি।শুক্রবার সোনিয়ার ছেলে কংগ্রেসের সহসভাপতি রাহুল গান্ধী ওই অধ্যাদেশের তীব্র সমালোচনা করে বলেন, দুই বছরের বেশি সাজাপ্রাপ্ত অপরাধী এমপি ও এমএলএদের স্বপদে বহাল রাখতে কেন্দ্রীয় সরকারের আনা অধ্যাদেশ অর্থহীন। রাহুলের এ মন্তব্য প্রধানমন্ত্রীর জন্য অবমাননাকর বলে মনে করছেন অনেকে। এনডিটিভি।ঠাকুরগাঁও পৌরসভার ভাউলারহাট মোড় এলাকার একটি চালকলের বয়লার বিস্ফোরণে গতকাল মঙ্গলবার সকালে তিন শ্রমিক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও তিনজন।পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, গতকাল সকাল সোয়া ১০টার দিকে ভাউলারহাট মোড়ের সালাউদ্দিন উলুব্বীর মাসনুন হাস্কিং মিলের বয়লার উড়ে গিয়ে ১০০ গজ দূরে মতিন উলুব্বীর সামসিয়া হাস্কিং মিলে পড়ে প্রচণ্ড শব্দে বিস্ফোরিত হয়। এতে ওই মিলের শ্রমিক সদর উপজেলার দিঘিডাঙ্গী গ্রামের মৃত বুদু চন্দ্রের ছেলে রমেশ বর্মণ (৪২), পাইকপাড়া গ্রামের পহির উদ্দিনের ছেলে পশিরুল হক (৪১) ও একই গ্রামের মকিম উদ্দিনের ছেলে কফিল উদ্দিন (৪০) ঘটনাস্থলেই নিহত হন। এ ছাড়া উড়ে আসা বয়লারের নিচে চাপা পড়ে আহত হন আরও তিন শ্রমিক। স্থানীয় লোকজন আহত ব্যক্তিদের দ্রুত উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ খান জানান, হতাহতের সবাই সামসিয়া হাস্কিং মিলের শ্রমিক। নিহত শ্রমিকদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় ঠাকুরগাঁও থানায় একটি দুর্ঘটনাজনিত মামলা করা হয়েছে।গত সপ্তাহে নিউইয়র্কের স্ট্র্যান্ড বুক স্টোরে ঢুকতেই চোখ পড়ল বড় আকারের একটা ব্যানার ঝুলছে, তাতে লেখা ‘আলবের কাম্যু—জন্মশতবর্ষের উদ্যাপন’। এর নিচেই একটা টেবিলজুড়ে কাম্যুর যত উপন্যাস আর এগুলোর ওপর খাড়া করে রাখা আলজেরিয়ান ক্রনিকলস, কাম্যুর ইংরেজিতে সদ্য প্রকাশ হওয়া শেষ বই। ইউনিয়ন স্কয়ারের কাছের এই বহুতল বইয়ের দোকানটিতে আমার যাওয়ার অন্য এক ‘অ্যাবসার্ড’ কারণ রয়েছে। এই দোকানেই দীর্ঘ সাত-আট বছর কাজ করেছেন আমাদের প্রয়াত চলচ্চিত্রকার তারেক মাসুদ। আমি নিউইয়র্ক গেলেই তারেক মাসুদের যুবক বয়সের স্মৃতিধন্য এই দোকানে যাই মূলত এক অজানা টান থেকে—এর সিঁড়ির ধাপে ধাপে যেন এখনো ঝুলে আছে তাঁর ছায়া, আর আমি যেন তা চাইলেই ছুঁতে পারব। এ চিন্তাটিই ‘অ্যাবসার্ড’—জীবন ও মৃত্যুর দ্বৈতধর্মকে অস্বীকার করতে চাওয়া আমার এই দুঃখবিলাস!এই ‘অ্যাবসার্ডিটি’কে আলবের কাম্যুর মতো করে ভাষা দিতে আর কোনো লেখক পেরেছিলেন বলে জানা নেই। কাম্যু তাঁর অতি সরল গল্পকথনে জীবনের যে অর্থহীনতাকে ফুটিয়ে তোলেন, তা আমাদের ভীষণভাবে নাড়িয়ে দেয়, জীবনের নানাবিধ সত্যের সামনে দ্বিধান্বিত করে। বিশ্বব্যাপী আলবের কাম্যুর প্রবল জনপ্রিয়তার এটাই কারণ। বেশ কঠিন ভাষা ও কঠিন বয়ানের অস্তিত্ববাদী দার্শনিক হওয়া সত্ত্বেও কথাশিল্পী কাম্যু যখন মাত্র ৪৬ বছর বয়সে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান, এর মাত্র তিন বছর আগে ৪৩ বছর বয়সে তিনি জিতে নেন সাহিত্যে দ্বিতীয় কনিষ্ঠতম নোবেল বিজয়ীর অভিধা; তখন তাঁর জনপ্রিয়তা কোনো সেলিব্রেটি রক স্টারের মতোই। জীবনসত্যের দ্বৈততাগুলো—সুখ ও দুঃখ, আলো ও অন্ধকার, বাঁচা ও মরা—কাম্যুতে এসে প্যারাডক্স বা কূটাভাসের চেহারা নিয়ে নেয়: মৃত্যু আছে জানা সত্ত্বেও এবং এই ব্রহ্মাণ্ড সে বিষয়ে নীরব, তা জেনেও আমরা আমাদের জীবনকে মূল্য দিই। দ্বৈততার মধ্যে বাস করা সম্ভব (কাম্যুর ভাষায়: দুঃখের পর্বগুলো আমি মেনে নিতে পারি। কারণ, আমি জানি এর পরে হয়তো আমার সুখের অভিজ্ঞতালাভ হবে।), কিন্তু প্যারাডক্সের মধ্যে নয় (আবার তাঁর ভাষায়: ‘আমি জানি, আমার জীবনের বিরাট মূল্য আছে, কিন্তু আমি এটাও জানি যে জীবন মূল্যহীন’)।অর্থহীনতার সঙ্গে আমাদের এই যে নিত্যদিনের জানাশোনা, কাম্যু তাঁর লেখায় সে বিষয়টিরই সন্ধান করে গেছেন, দেখতে চেয়েছেন আমরা মানুষেরা কীভাবে এ রকম অ্যাবসার্ড পরিমণ্ডলের মধ্যে বেঁচে থাকি। তিনি প্রশ্ন করে গেছেন: জীবনকে মূল্যবান বলতে হলে জীবনের তো অর্থ থাকতে হবে। যদি মেনে নিলাম যে জীবনের কোনো অর্থ নেই, সুতরাং কোনো মূল্যও নেই, তাহলে কি আমাদের নিজেদের মেরে ফেলাই উচিত নয়? এখানেই লুকিয়ে আছে কাম্যুর ‘আত্মহত্যা’বিষয়ক বিখ্যাত দার্শনিক প্রশ্নগুলো। জীবনের অর্থহীনতা এড়ানোর জন্য কেউ চাইলেই জীবনকে শেষ করে দিতে পারে। কিন্তু জীবনের যেমন অর্থ নেই, মৃত্যুরও তো তেমনই। জীবনকে অর্থ দিতে চান? কী লাভ তাতে? শেষে তো মৃত্যুই। আর মৃত্যুকে অর্থপূর্ণ করতে চান? জীবনই তো থাকবে না তখন। কাম্যুর উপসংহার: এসবের বদলে বরং অর্থহীনতা আর মৃত্যু, দুটোকেই উপভোগ করা ভালো।কাম্যুর সবচেয়ে বিখ্যাত উপন্যাস দি আউটসাইডার-এ আমরা দেখি এর চূড়ান্ত রূপ—কীভাবে এর নায়ক মেখসো প্রতি মুহূর্তে তার জীবনের অর্থহীনতার মধ্যে নির্বিবাদে গা ভাসিয়ে চলেছে, কীভাবে আপাতদৃষ্টিতে বিনা কারণেই সে খুন করে বসল এক আরব যুবককে, আর শেষে কীভাবে বিচারের অর্থহীন ধাপগুলো পেরিয়ে সে এখন খুশি মনে গিলোটিনে শিরশ্ছেদের প্রতীক্ষায়। শিরশ্ছেদের আগে আগে ফাঁসির সেলে কী চিৎকার করে যাজককে অপমান করল সে—জীবনের কোনো সামান্য মানেও হয় না, কারোই অধিকার নেই অন্যের বিষয়ে জাজমেন্ট দেওয়ার, কারণ এই আমি-তুমি-সে-ব্রহ্মাণ্ড- ঈশ্বর—এই পুরো চক্রটাই অর্থহীন। এর পরেই আলবের কাম্যুর সবচেয়ে বিখ্যাত লাইনগুলো যেখানে মেখসো বলছে: ‘যেনবা আমার সেই অন্ধ রাগ আমাকে ধুয়ে দিল, আমাকে আশামুক্ত করে দিল; প্রথমবারের মতো, ওই তারা আর সংকেতে ভরা রাতের বেলাটিতে, আমি আমাকে খুলে দিলাম বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের নম্রতামাখা উদাসীনতার কাছে।’আউটসাইডার উপন্যাস এক লহমায় কাম্যুকে তুলে দিল বিশ শতকের সর্বসেরা লেখকদের তালিকায়। পঞ্চাশের দশকের কাছাকাছি এসে ব্যাপারটি এমন হয়ে গেল যে কাফকা ও কাম্যুর লেখা মানবজীবনের বিচ্ছিন্নতাবোধ ও জীবনের চোরাস্রোতে ধাবমান নৈরাশ্যবাদের বাইরে গিয়ে সাহিত্যচর্চাই যেন অসম্ভব; বিশ্বসাহিত্যে একদিন এমনই বিশাল বিপুল ছিল আলব্যের কাম্যুর প্রভাব। আজও তার কিছু কমেছে কি?তো, আলবের কাম্যুর জন্মশতবার্ষিকীর ব্যানারের নিচে দাঁড়িয়ে, ঠিক তাঁরই মতো অবেলায় তারেক মাসুদেরও সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর অর্থহীনতাকে উপলব্ধি করতে করতে কিনে ফেললাম আলজেরিয়ান ক্রনিকলস। আগেই বলেছি, কাম্যুর জীবদ্দশায় প্রকাশিত শেষ বই এটি, প্রকাশকাল ১৯৫৮, যা সম্পূর্ণ আকার নিয়ে প্রথমবারের মতো ইংরেজি ভাষায় আলোর মুখ দেখল এই ২০১৩ সালে এসে। সুখপাঠ্য এ বইটিতে কাম্যুর ট্রেডমার্ক অস্তিত্ববাদী বয়ানের ছিটেফোঁটাও নেই। এখানে বরং আমরা পাই তাঁর কিংবদন্তিতুল্য মানবাধিকারকর্মী চেহারাটির স্বচ্ছ এক পরিচয়। টিম স্পিরিট, ভ্রাতৃত্ববোধ এবং কোনো জনগোষ্ঠীর সম্মিলিত আকাঙ্ক্ষা—কাম্যুর এই প্রবল ইতিবাচক বিশ্বাসগুলো একটা মূর্তিমান রূপ নিয়েছিল তার নিজেরই জীবনে, ফুটবল খেলার মাঠে। তিনি তাঁর জম্মভূমি আলজেরিয়াতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুটবল টিমের গোলকিপার ছিলেন ১৯২৮ থেকে ১৯৩০ সাল অবধি। কাম্যুর আলজেরিয়ান ক্রনিকলস-এ জড়ো করা সংবাদপত্রের প্রতিবেদন ও বিবিধ রচনা তাঁর এই ফুটবল-উত্তর পর্বের নানা বোধ ও চেতনার এক পাঁচমিশালি। তবে এর সব কটা লেখার বিষয় একটিই: আলজেরিয়ার সঙ্গে তাঁর আত্মার সম্পর্ক।১৯১৩ সালে আলজেরিয়াতেই জন্ম ফরাসি অভিবাসী আলবের কাম্যুর। ফ্রান্স থেকে আসা কাম্যুর মতো লোকদের ওখানে বলা হতো ‘কালো পা’ মানুষ, তাচ্ছিল্যভরে অবশ্যই। ১৯৪২ সালে কাম্যু আলজেরিয়া ছাড়লেন। এতগুলো বছর তাঁর কাটল এখানে, তাঁর সব প্রধান উপন্যাসের পটভূমি ওই আলজেরিয়াই, তার পরও কাম্যু তীব্র সমালোচিত হয়েছেন আলজেরিয়ার স্বাধীনতা বিষয়ে তাঁর দৃশ্যমান নীরবতার কারণে। এডওয়ার্ড সাইদ পরে কাম্যুকে এ কারণে তুলোধুনা করেছেন, আমরা জানি। সত্যি যে কাম্যু কখনো বিপ্লবী ছিলেন না, অন্য অস্তিত্ববাদী দার্শনিক বন্ধু জাঁ-পল সার্ত্রের তুলনায় তিনি ছিলেন মহা ‘শান্তিকামী’ এক লোক। কিন্তু সমালোচকেরা আলজেরিয়া প্রশ্নে কাম্যুকে এত দিন যা যা বলে এসেছেন, তার মোক্ষম জবাব হিসেবে এসেছে আলজেরিয়ান ক্রনিকলস-এ কাম্যুর রচনাগুলোতে। তখনকার ফরাসি উপনিবেশ আলজেরিয়ার ইতিহাসের দুই দশক এ বইতে উপস্থিত—দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শুরু থেকে ১৯৫৮ সালে শার্ল দ্য-গলের ফিফথ রিপাবলিক প্রতিষ্ঠাকাল পর্যন্ত। কাম্যু আলজেরিয়ার কাবিলিয়াতে তখন মাত্র সাংবাদিকতার জীবন শুরু করেছেন। ওই সময় তিনি চাক্ষুষ করলেন প্রকৃতির অভিশাপ এক ভয়ংকর খরাকে। তিনি সংবাদপত্রে লিখলেন, ওই সর্বগ্রাসী খরার বিষয়ে জনগণের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে একজন সামান্য সাংবাদিক কত অসমর্থ। কাম্যুর ভাষায় : ‘সত্য হচ্ছে, আমরা প্রতিদিন এমন সব মানুষদের সঙ্গে বাস করছি, যাদের অবস্থা তিন শ বছর আগের ইউরোপিয়ান চাষাদের মতো; কিন্তু তার পরও আমরা, শুধু কেবল আমরাই, তাদের এই ভয়াবহ দশার ব্যাপারে কত উদাসীন।’ শাসক ফরাসিদের শাসিত আলজেরিয়ানদের প্রতি এই উদাসীনতার কথাটি এ বইয়ে উঠে এসেছে বারবারই। এরপর আলজেরিয়ানরা গড়ে তুলল স্বাধীনতাকামী বিপ্লবী ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্ট (এফএলএন) আর সেই সঙ্গে শুরু হয়ে গেল ‘ফরাসি হটাও’ প্রতিরোধ আন্দোলনের। শুরু হলো আলজেরিয়ান ওয়ার, ফরাসি সেনাবাহিনী নামল বর্বরতার এক ভয়াল খেলায়। কাম্যু ভগ্নমন হলেন। তিনি, ফরাসি বামপন্থীদের অবাক করে দিয়ে, আলজেরিয়ার পূর্ণ স্বাধীনতায় কখনো বিশ্বাস রাখেননি, বরং ফরাসি সেনাদের নৃশংসতা তাকে আতঙ্কিত করে তুলল। তিনি লিখলেন, ‘ফরাসিদের অত্যাচারগুলো আমাদের অনেক বেশি ক্ষতি করছে, যতটা না করছে শত্রুপক্ষের শত খানেক গেরিলার কাজকারবার।’ একই সঙ্গে এনএফএলের সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধেও সোচ্চার হলেন তিনি। ঔপনিবেশিকতার বিরোধিতার নামে নিরীহ জনগোষ্ঠীর ওপরে চালানো ভায়োলেন্স ‘রক্তের এক কূটতার্কিক খেলামাত্র’, যাতে তাঁর বিন্দুমাত্র সমর্থন ছিল না।১৯৫৫ সালে আলজেরিয়ান গেরিলাদের প্রতি এক খোলা চিঠিতে কাম্যু লিখলেন: ‘আমার অনুভূতি কী তা আপনাদের আমার জানানো দরকার। এই মুহূর্তে আমার ব্যথার কারণ আলজেরিয়া, যেমন কিনা অন্যেরা ধরুন ব্যথা বোধ করে তাদের ফুসফুসে।’ এক প্রচণ্ড শক্তিশালী তুলনা এটি, কারণ মনে রাখতে হবে, ফুসফুসের যক্ষ্মা রোগে কাম্যু তখন ভুগছেন, এমনকি একসময় মারাও যেতে বসেছিলেন। আলজেরিয়া ছিল কাম্যুর অক্সিজেন—একদিকে ঔপনিবেশিক শক্তির অনাচার ও অন্যদিকে ঔপনিবেশিকতাবিরোধী ভায়োলেন্স—এই দুয়ের মধ্যে পড়ে শ্বাস বন্ধ হয়ে আসছিল তাঁর।নোবেল পুরস্কার পাওয়ার পরের বছরেই, ১৯৫৮ সালে, ফ্রান্সে যখন বের হলো কাম্যুর এই শেষ বইটি, স্বাভাবিক তখন ফরাসি ইন্টেলেকচুয়াল মহলের কাছ থেকে তাঁর ভাগ্যে জুটল নীরবতা ও উপেক্ষা। ওই বছরেরই মে মাসে ফরাসি সেনাবাহিনীর ডানঘেঁষা অংশটি আলজিয়ার্সে এক ক্যু করার প্রয়াস নিল; শুরু হলো এক জটিল রাজনৈতিক পরিস্থিতির, যার উপসংহারে গিয়ে ১৯৫৮ সালের অক্টোবরে দ্য গল প্রেসিডেন্ট হলেন। এর চার বছর পরে আলজেরিয়া স্বাধীন হলো, কিন্তু কাম্যু ততদিনে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত। লোকে বলে, রাশিয়ান বামপন্থীদের এক সাজানো মৃত্যুফাঁদ ছিল তাঁর ওই সড়ক দুর্ঘটনা।বইটি বিরতি না দিয়ে যদি এক নিঃশ্বাসে শেষ করেন, তো আপনার পরিচয় ঘটবে দি আউটসাইডার বা দ্য প্লেগ-এর সঙ্গে সম্পূর্ণ সাযুজ্যহীন এক নতুন ‘শান্তিকামী’ কাম্যুর সঙ্গে, যিনি চরমপন্থা ও ভায়োলেন্সের প্রচণ্ড বিরোধী। ইংরেজিতে বোধ হয় এর চেয়ে আর উপযুক্ত কোনো সময়ে বাজারে আসতে পারত না এই বই। একদিকে ‘আরব বসন্তের’ অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ, সন্ত্রাসবাদ এখনো প্রায়ই সংবাদপত্রের প্রথম পাতার প্রধান সংবাদ আর অন্যদিকে এই মহান লেখকের এখন জন্মশতবর্ষও বটে—সবমিলিয়ে তাঁর আলজেরিয়ান ক্রনিকলস কোনো ইতিহাসের বই নয়, কঠিন এক পৃথিবীতে প্রশ্নযোগ্য ‘ন্যায়’-এর আরও প্রশ্নযোগ্য ‘পক্ষে থাকার’ গাইড যেন এটি। ডাস্টবিনে দুই তেলাপোকার সংলাপ: —জানো, কাল এক নতুন রেস্টুরেন্টে গিয়েছিলাম। কী ঝকঝকে-তকতকে! কী পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন...—আমি যখন খেতে বসেছি, তখন এমন গল্প না করলেই নয়? টিকটিকি দেখে খরগোশ বলল:—এই, তুমি কে?—আমি ডাইনোসর।—ডাইনোসর! তারা তো কবেই বিলুপ্ত হয়ে গেছে!—ভুল কথা। এক অসুখে ভুগে আমাদের এই দশা। দুই ক্যাঙারুর সংলাপ:—তুমি আরেকটা বাচ্চা নিচ্ছ না কেন?—বুঝলে, পকেটের* অবস্থা ভালো নয়।ক্যাঙারুর থলেকে রুশ ভাষায় ‘পকেট’ বলা হয়ে থাকে। |
এ মাসের শুরুতে ৩ সেপ্টেম্বর পাঁচটি সেঞ্চুরি দেখেছিল ওয়ানডে ক্রিকেট; ইংল্যান্ড-আয়ারল্যান্ড ম্যাচে তিনটি ও অস্ট্রেলিয়া-স্কটল্যান্ড ম্যাচে দুটি। ওয়ানডে ক্রিকেট ৪২ বছরের ইতিহাসে এক দিনে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরি দেখেছে এদিনই। এর আগে এক দিনে সর্বোচ্চ চারটি সেঞ্চুরি হয়েছিল দুবার। ১৯৯৮ সালের ১০ নভেম্বর লাহোরে পাকিস্তান-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচে দুই দলেরই দুজন করে ব্যাটসম্যান সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন। এক ম্যাচে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরির রেকর্ড এটাই। এরপর ২০০৭ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি তিনটি আলাদা ম্যাচে সেঞ্চুরি হয় চারটি। নাইরোবিতে কানাডা-আয়ারল্যান্ড ম্যাচে দুটি, একই শহরের আরেক মাঠে বারমুডার বিপক্ষে হল্যান্ডের একজন এবং মেলবোর্নে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার রিকি পন্টিং সেঞ্চুরি করেছিলেন।হাড়ের মূল উপাদান আমিষ, কোলাজেন ও ক্যালসিয়াম। প্রাকৃতিক নিয়মেই ৩০ বছরের পর থেকে হাড়ের ঘনত্ব ও পরিমাণ কমতে থাকে, হাড় দুর্বল ও ভঙ্গুর হতে থাকে। ৫০ থেকে ৬০ বছরের দিকে হাড় অনেক দুর্বল হয়ে পড়ে। তাই সামান্য আঘাতেও বয়স্ক ব্যক্তির মেরুদণ্ড, কটি, পাঁজর ও কবজির হাড় ভেঙে যেতে পারে।হাড়ের ঘনত্ব কমে যাওয়া ও ভঙ্গুরতার ঝুঁকি কাদের বেশি? ৪০ শতাংশ হাড়ের ঘনত্ব বংশানুক্রমিকভাবে নির্ধারিত হয়। তাই পরিবারে হাড় ভেঙে যাওয়ার প্রবণতা থাকলে ঝুঁকিটা বেশি। ২০ শতাংশ হাড়ের ঘনত্ব নির্ধারিত হয় জীবনযাত্রার মাধ্যমে। শৈশব থেকে সুষম ও পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ, যথেষ্ট পরিমাণ ক্যালসিয়াম, খনিজ ও আমিষসমৃদ্ধ খাবার খাওয়া, ধুমপান ও মদ্যপান বর্জন, নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম করা এবং কর্মক্ষম থাকা হাড়ের সুস্থতার জন্য দরকারি। পুরুষের তুলনায় নারীদের হাড় ভাঙার প্রবণতা বেশি; বিশেষ করে যাঁরা শারীরিক গঠনে পাতলা ও খাটো। প্রায় ২০ শতাংশ নারী মেনোপোজের পর মেরুদণ্ডের হাড় ভাঙার শিকার হন। একবার হাড় ভাঙার পরবর্তী বছরে সাধারণত আরেকটি নতুন হাড় ভাঙে। থাইরয়েড ও পিটুইটারি গ্রন্থির নানা সমস্যা হাড়ের ক্ষয়কে ত্বরান্বিত করতে পারে। দীর্ঘদিনের স্টেরয়েড ওষুধ সেবন, রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস, খাদ্যনালির অস্ত্রোপচার বা রোগ, যকৃতের সমস্যা ইত্যাদি হাড়ের ঘনত্ব হ্রাস করেউপসর্গহাড় ভাঙার আগে সাধারণত কারও কারও পিঠ, কোমর, ঘাড় ও পেশিতে ব্যথা হয়। কারও বয়সের সঙ্গে মেরুদণ্ডের কশেরুকার উচ্চতা কমে যায়, রোগী সামনে ঝুঁকে থাকে এবং পেছনে কুঁজো হয়।হাড় মজবুত রাখার উপায়নিয়মিত ব্যায়াম—যেমন হাঁটা, জগিং, সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করা এবং সব সময় কর্মক্ষম থাকা উচিত। কৈশোরে যথেষ্ট কায়িক পরিশ্রম করলে হাড়ের ঘনত্ব ও দৃঢ়তা বৃদ্ধির ফলে বার্ধক্যে হাড়ের ক্ষয় কম হয়।কৈশোরে দৈনিক এক হাজার ৩০০ মিলিগ্রাম, ৫০ বছর পর্যন্ত এক হাজার মিলিগ্রাম এবং ৫০ বছরের ঊর্ধ্বে এক হাজার ২০০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম সেবন করা উচিত। ধুমপান ও মদ্যপান থেকে বিরত থাকুন। হাড়ের পরিমাণ হ্রাস, হাড়ের ক্ষয় ও ভঙ্গুরতা নির্ণয় করা যায় বিভিন্ন পরীক্ষার মাধ্যমে। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন এবং ওষুধ সেবন করুন। জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসনকেন্দ্র।দুই-দু গুণে চার হয়—এটা আর কে না জানে। ছোট মামাও সেটা জানেন বিলক্ষণ। কিন্তু তাঁর ব্যাপার-স্যাপারই আলাদা। তিনি প্রশ্ন করবেন, ‘দুই-দু গুণে কেন পাঁচ বা তিন হয় না, বলতে পারিস?’ বুঝতেই পারছ, আমাদের বলতে পারার কথা নয়। আমরা দুটি ভাইবোন, আমি ক্লাস সেভেনে, ছোটটি সবে ক্লাস টুতে পড়ে। বইয়ে সব সময় দুই-দু গুণে চার পড়ে আসছি, তাই সেটাই সঠিক বলে জানি। অমন বিদঘুটে প্রশ্ন আমাদের মাথায় আসেও না। অবশ্য মামার প্রশ্নের উত্তর সাধারণত তিনি নিজেই দেন। তাঁর ভাষায় ‘সহজ করে বুঝিয়ে’ দেন। সেই সহজ ব্যাপারটা এতটাই জটিল হয় যে আমরা আরও বেশি অসহায় অবস্থার মধ্যে পড়ে যাই।ছোট মামা, যাঁর মাথায় বিস্তর ‘জ্ঞান’ থাকায় চুলগুলো আর তিষ্ঠোতে পারেনি—সোজা কথায় টাক পড়েছে; তিনি অধ্যবসায়ের এক বিরাট নমুনা। মাত্র তিনবারের চেষ্টায় তিনি এসএসসি ও চারবারের চেষ্টায় এইচএসসি পাস করেছেন! তারপর কয়েক বছর ডিগ্রি পাসের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করলেন। আমার ধারণা, সাফল্যের ধারাবাহিকতায় পঞ্চমবারের চেষ্টায় তিনি পাস করবেন। কিন্তু কোনো এক অদ্ভুত কারণে তিনবার চেষ্টার পর মামা হাল ছেড়ে দিলেন। আমাকে বললেন, ‘বুঝলি পোনা (মামা আমাকে এই নামেই ডাকেন), পুঁথিগত বিদ্যাটাই জীবনে আসল কথা নয়। জানার আসলে কোনো শেষ নেই। এ জন্য অনেক বই পড়তে হবে, অনেক জায়গায় ঘুরতে হবে।’এরপর সেটাই মামার কাজ হয়ে দাঁড়াল। দিনমান ঘরে বসে নানা বিষয়ের বই পড়েন। আর সুযোগ পেলেই কিছুদিনের জন্য হাওয়া হয়ে যান, মানে বেড়াতে বের হন। বেশির ভাগ সময় কাউকে কিছু বলে যান না। প্রথম দিকে মা খুব চিন্তা করতেন তাঁর এই ‘আধা পাগল’ ভাইটার জন্য। পরে দেখা গেল, এটা মামার নিয়মিত ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি হুট করে চলে যান এবং পকেটে টান পড়লে ফের সুবোধ বালকের মতো বাড়িতে ফিরে আসেন।ছোট মামা আমাদের বাড়ির একটা ছোট্ট ঘরে থাকেন। তেমন কোনো কাজকর্ম করেন না। মাঝেমধ্যে মায়ের অনেক ঠেলাঠেলিতে হয়তো বাজারে যান। তা-ও ১০টি জিনিস আনতে বললে ছয়টি আনেন, বাকিগুলো কিনতে মনে থাকে না। তাই বাধ্য না হলে তাঁকে কোনো কাজের কথা বলা হয় না। এভাবে ভালোই চলছিল। হঠাৎ একদিন মামার মাথায় গবেষণার ভূত চাপল। তিনি গবেষণার জন্য রীতিমতো কিম্ভূতকিমাকার কিছু সরঞ্জামও কিনে আনলেন।আমাকে বললেন, ‘বুঝলি পোনা, শুধু পড়লেই হবে না। গবেষণাগারে প্র্যাকটিক্যালি বিষয়টাকে বুঝতে হবে। তা ছাড়া দেশের জন্য তো কিছু করতে হবে। গবেষণা ছাড়া তো নতুন কিছু আবিষ্কার করা সম্ভব নয়।’আমি হলাম মামার এক নম্বর ও একমাত্র শিষ্য। তিনি যা-ই করেন না কেন, আমাকে বলেন। আমিও বুঝে না-বুঝে তাঁকে সায় জানাই। এবারও তার ব্যতিক্রম হলো না। শুধু জিজ্ঞেস করলাম, ‘কী আবিষ্কার করবে মামা?’‘সেটা আগে থেকে বলা যাচ্ছে না। তবে ট্রাফিক জ্যাম, মানে যানজট দূর করার উপায় খুঁজব।’‘খুব ভালো হবে।’মুখে বললাম কথাটা, তবে আমার মাথায় কিছুই ঢুকল না। যানজট হলো রাস্তার বিষয়। সেটা নিয়ে এই ছোট্ট ঘরের ভেতর মামা কী গবেষণা করবেন, কে জানে!পরদিন অবাক হয়ে লক্ষ করলাম, মামা তাঁর ছোট্ট ঘরকে রীতিমতো স্কুলের ল্যাবরেটরির মতো বানিয়ে ফেলেছেন। সারা দিন সেখানে খুটখাট করেন। সপ্তাহ খানেক পর আমি জিজ্ঞেস করলাম, ‘মামা, তোমার গবেষণার কী অবস্থা?’মামা বেশ উৎফুল্ল গলায় বললেন, ‘দু-এক দিনের মধ্যেই সুখবর পাবি।’ঠিক দুই দিন পর মামা আমাকে তাঁর ঘরে ডেকে নিলেন। উত্তেজনার সঙ্গে বললেন, ‘পোনা, আমি যানজট সমস্যার সমাধান করে ফেলেছি।’‘তাই? কীভাবে?’ আমি বিস্মিত হলাম।‘যানজট এড়াতে মানুষ উড়ে উড়ে চলাচল করবে।’‘মানুষ উড়বে?’ আমার মাথায় যথারীতি কিছুই ঢুকছে না।‘হ্যাঁ উড়বে! আমি একটা রাসায়নিক মিশ্রণ আবিষ্কার করেছি, যেটা খেলে মানুষের শরীর পাখির মতো হালকা হবে। এরপর হাত দুটোকে পাখার মতো ব্যবহার করে মানুষ উড়ে বেড়াবে।’ ছোট মামা সবিস্তারে জানান।এই প্রথম মামার কোনো বিষয়ে সায় জানাতে আমার দ্বিধা হয়। এমন উদ্ভট কথা বিশ্বাস করাও মুশকিল।মামা বুঝি আমার মনের কথা বুঝতে পেরেই বললেন, ‘বিশ্বাস হচ্ছে না তো? তুই আর আমি মিলেই প্রথম পরীক্ষাটা করব।’আমতা-আমতা করে বললাম, ‘আমি কেন? আমি ছোট মানুষ।’‘সে জন্যই তো সুবিধা। তোর ওজন কম, উড়তে সুবিধা হবে। আর ভয় নেই, আমি বিড়ালকে খাইয়ে পরীক্ষা করেছি।’‘বিড়াল কি উড়েছিল?’‘না, ঠিক ওড়েনি। তবে সামনের দুই পা উঁচিয়ে ওড়ার চেষ্টা করেছিল। সমস্যাটা হলো, ওর বা কোনো পশুরই আসলে শারীরিক গড়নটা ওড়ার উপযোগী নয়। সে ক্ষেত্রে মানুষ ঠিক আছে। আর জীব না হলেও জড়পদার্থ দিয়ে পরীক্ষা করে আমি সফল হয়েছি।’‘সেটা কী রকম?’ জানতে চাইলাম।‘একটা বোতলের মধ্যে ওই সব রাসায়নিকের বিক্রিয়া ঘটিয়ে মুখে বেলুন বেঁধে দিয়েছিলাম। সেটা আমার ঘরের ছাদ পর্যন্ত উঠেছে। অতএব তোর কোনো ভয় নেই। এখনই আমরা সেই ঐতিহাসিক ঘটনাটি ঘটাব। আমাদের নাম বিজ্ঞানের ইতিহাসে সোনার অক্ষরে লেখা থাকবে।’মামা ছোট দুটি শিশি বের করে একটি আমাকে দিলেন, অন্যটি তিনি নিলেন। শিশির ভেতরে কিছুটা গাঢ় নীল রঙের তরল। মামা জানান, এটা পান করার দুই মিনিটের মধ্যে শরীর খুব হালকা বোধ হবে। তারপর চেষ্টা করলেই আকাশে ওড়া যাবে। মামার চাপাচাপিতে দুজনে মিলে সেই নীল তরল পান করলাম। কেমন ঝাঁজাল স্বাদ। কিন্তু দুই মিনিট পার হওয়ার পরও কারও মধ্যে ওড়ার লক্ষণ দেখা গেল না। প্রায় পাঁচ মিনিট এভাবে কাটার পর মামা বললেন, ‘আমার তো ওজন বেশি, এ জন্য মনে হয় হচ্ছে না। তুই পাখির ডানা ঝাপটানোর মতো তোর হাত দুটো দিয়ে বাতাস ঠেলে ওড়ার চেষ্টা কর।’আমি করলাম, কিন্তু কিছুই হলো না। পরে মামা আমাকে আরও এক ডোজ নীল ওষুধ খাওয়ালেন। তারপর নানা কায়দায় আমার হাতকে পাখির পাখার মতো ব্যবহারের চেষ্টা করলেন এবং করতেই থাকলেন। তাঁর ধারণা, ওষুধটা কাজ করতে একটু সময় নিচ্ছে। একটু পর দুজনই ঠিক উড়তে পারব।সে যাত্রায় আর মামা-ভাগনের ওড়া হয়নি। তবে আমাকে তিন দিন পেটের অসুখে ভুগতে হয়েছিল। ছোট মামা অবশ্য ফের গবেষণায় লেগেছেন। এবার তাঁর ওষুধ আর ব্যর্থ হবে না বলে ঘোষণাও দিয়ে রেখেছেন। দেখা যাক কী হয়!দেশ-বিদেশ থেকে লোক এসেছে অনুষ্ঠান দেখতে। প্রচুর দর্শক। এদিকে প্রতিযোগীরাও তৈরি। একটু পরই প্রতিযোগিতা শুরু হবে, বীণা প্রতিযোগিতা। স্টেজে সব নামকরা বীণাবাদক, একে একে সবাই নিজের পরিচয় দিচ্ছেন।আরে! তানিয়া না! কিন্তু ও এখানে কী করে? প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছে নাকি! তবে যা-ই হোক, পরিচিত মুখ দেখে ভালো লাগছে। আরে হ্যাঁ, তানিয়াই তো! মাত্রই শুনলাম, মাইকে ঘোষণা করল—তানিয়া হোসেন, কাম ফ্রম বাংলাদেশ। বাহ! অসাধারণ! এই বিদেশ-বিভুঁইয়ে বসে বাংলাদেশি একটা মেয়ের বীণা শুনতে নিশ্চয়ই দারুণ লাগবে।ধ্রিম... ধ্রিম... ধ্রিম! পরপর তিনটি ককটেল ফাটার শব্দ হলো। দর্শক-বীণাবাদক সবাই যে যার মতো ছুটছে। শুধু বাংলাদেশ থেকে আসা তানিয়া স্টেজে দাঁড়িয়ে। তার কাছে এই শব্দ খুব নরমাল। দেশে রোজ সে এমন শব্দ শুনত। কারণ, বিরোধী দলগুলোর হরতাল-অবরোধ লেগেই আছে। কখনো ৪৮ ঘণ্টা, কখনো ৭২ ঘণ্টা, আবার কখনো লাগাতার কর্মসূচি। তাই এসব শব্দ এখন ওর কাছে কোনো ব্যাপার না।এই যাহ! পুরো মঞ্চ খালি। তানিয়া একা দাঁড়িয়ে। কী মনে হতেই আচমকা বীণা হাতে বাজানো শুরু করল সে। গ্যালারিতে শেষপর্যন্ত বেরোতে না-পারা দর্শক সব ঘুরে দাঁড়িয়েছে। ককটেল-পরবর্তী বীণার সুর। মন্ত্রমুগ্ধের মতো শুনছি। আগে থেকেই সব প্রয়োজনীয় সেট-আপ করা ছিল বলে আয়োজকেরাও অনুষ্ঠান বন্ধ করেনি। শেষতক তানিয়া হিট। একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে চমৎকার মাতিয়েছে। পরদিন বাংলাদেশের সব পত্রিকায় ওকে নিয়ে হেডলাইন হলো, ‘বীণা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতলেন তানিয়া’। |
গ্রিসের কট্টর ডানপন্থী রাজনৈতিক দল গোল্ডেন ডনের নেতা নিকোলাস মিকালোলিয়াকোসকে গতকাল শনিবার গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ প্রতিষ্ঠার অভিযোগ আনা হয়েছে।উগ্র ডানপন্থীরা জনপ্রিয় বামপন্থী সংগীতশিল্পী পাভলোস ফাইসাসকে সম্প্রতি ছুরি মেরে হত্যা করার পর গোল্ডেন ডনের সদস্যদের গ্রেপ্তার অভিযান শুরু হয়। নব্য নাৎসি হিসেবে পরিচিত দলটির এক পার্লামেন্ট সদস্যসহ আরও তিন নেতাকেও গতকাল গ্রেপ্তার করা হয়।ঋণসংকটে জর্জরিত গ্রিস সরকার আন্তর্জাতিক সহায়তার শর্ত হিসেবে সরকারি খাতে সংস্কার বাস্তবায়ন করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে। এ অবস্থায় গোল্ডেন ডনের নেতা দলটির ১৮ জন পার্লামেন্ট সদস্যকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে বলে গত শুক্রবার হুমকি দেন। এ ধরনের উদ্যোগে দেশটির ১৫টি অঞ্চলে উপনির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রয়োজন হবে। আর তাহলে প্রধানমন্ত্রী আন্তোনিস সামারাসের নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের ভবিষ্যৎ হুমকির মুখে পড়তে পারে। কারণ, পার্লামেন্টে বর্তমান জোট সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতা তেমন জোরালো নয়। সরকারি ব্যয় সংকোচননীতির বিরুদ্ধে দেশজুড়ে ব্যাপক অসন্তোষের মুখে গ্রিসের ২০১২ সালের পার্লামেন্ট নির্বাচন হয়। এতে অংশ নিয়ে প্রথমবারের মতো আসন পায় উগ্রপন্থী গোল্ডেন ডন।প্রধানমন্ত্রী সামারাস এক টেলিভিশন ভাষণে বলেছেন, ‘আমাদের সামাজিক জীবন অবরুদ্ধ এবং সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করে দেশের গণতান্ত্রিক ভিতকে ধ্বংস করার সুযোগ নাৎসিবাদের উত্তরসূরিদের দেওয়া হবে না।’উগ্রপন্থী হলেও গ্রিসে সরকারি ব্যয় সংকোচননীতির বিরোধিতাসহ বিভিন্ন কারণে গোল্ডেন ডনের জনপ্রিয়তা ক্রমশ বাড়ছে। জনমত জরিপ অনুযায়ী, দলটি ইতিমধ্যে দেশের তৃতীয় বৃহত্তম রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। এএফপি।দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার কাটলা ইউনিয়নে গতকাল মঙ্গলবার আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে উপজেলার কাটলা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সামছুল আলমসহ আওয়ামী লীগের তিনজন ও বিএনপির এক কর্মী আহত হন। চেয়ারম্যান সামছুল আলমের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এদিকে গত সোমবার রাতে খানসামা উপজেলায় জামায়াত-শিবিরের কর্মীদের ছুরিকাঘাতে স্থানীয় কৃষক লীগের এক নেতাসহ কমপক্ষে পাঁচজন আহত হন।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হরতালের তৃতীয় দিনে গতকাল বিরামপুরের কাটলা ইউনিয়নে হরতালের পক্ষে-বিপক্ষে মিছিল নিয়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির স্থানীয় নেতারা কাটলা বাজারে মুখোমুখি হন। সেখানে দুই পক্ষের সংঘর্ষে কাটলা ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি সামছুল আলমসহ আওয়ামী লীগের তিনজন ও বিএনপির এক কর্মী আহত হন।সামছুল আলমকে প্রথমে বিরামপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসক সরোয়ার আলম জানান, সামছুল আলমের মাথায় ও গলায় গুরুতর ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।বিকেলে সামছুল আলমকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয় বলে জানা গেছে। সেখানে তাঁকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে।এদিকে সকাল থেকে বিরামপুর শহরেও দুই দলের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া চলে। পরে পুলিশ দুই পক্ষের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। দুপুর পর্যন্ত এলাকায় বিজিবি মোতায়েন রাখা হয়। পৌর বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক শিরন আলম জানান, হরতালে বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা লাঠিসোঁটা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে বাধা দেওয়ায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।এদিকে জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আলতাফুজ্জামান জানান, বিএনপি-জামায়াত হরতালের নামে এলাকায় যা করছে, তার প্রতিবাদে আওয়ামী লীগ মিছিল বের করে। তখন বিএনপি লাঠিসোঁটা নিয়ে মিছিলটিতে হামলা করলে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।এদিকে গত সোমবার রাত সাড়ে আটটার দিকে খানসামা উপজেলার চৌরঙ্গী বাজারে জামায়াত-শিবিরের কর্মীদের এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাতে স্থানীয় ভেড়ভেড়ী ইউনিয়ন কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রহমানসহ পাঁচজন আহত হয়েছেন। জেলা কৃষক লীগের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন জানান, গুরুতর আহত মামুনুরকে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।রিফাত চৌধুরীগফুরের মহেশগফুরের মহেশ চলে যায় দীর্ঘতম মাঠের ঘাস মাড়িয়ে—তথাপি এ জনারণ্যে শোনা যায় অরণ্যের হূৎস্পন্দন।কল্পনা। কল্পনা। জাস্ট কল্পনা। আমি আমার কল্পনাটাকে টেকনোলজি দিয়ে ধরে রাখতে চাই। তুমি আমাকে আর খুঁজো না। আমেনা। অপার করুণা! ‘...ভেবে দেখেছ কী, তারারাও যত আলোকবর্ষ দূরে...’ আমাকে ডাকছে দূরের আকাশ। এই খাঁচাখানার দিন শেষ হয়ে এসেছে। একেবারে সৌর-পরিবারের বাইরে চলে যাচ্ছি আমি—আমি চলে যাচ্ছি লং ডিসট্যান্স ট্রাভেলে। ইঞ্জিনের জোর আছে, ট্যাংকভর্তি তেল আছে। আমি বুঝি আরও অনেক দূরের খবর পেয়ে গেছি। যেখানে মুক্তবিহঙ্গ তারার সপ্তক পার হয়ে যায়। (সোনার পাখি?) (ইচ্ছাপাখি?) পাখি দেখলে হিংসা হয়...ওরা যে উড়তে পারে!পাবলো শাহিইতিহাসের সব গোপন রস ও পাপমানুষ সম্পর্কে ভাবতে গিয়ে আমি তোমাকে নিয়ে একটা গল্প লিখতে চেয়েছিলাম; যে গল্পে আছে পৃথিবীর প্রাচীন সমাধিচিহ্ন আর সাপের মালা দিয়ে গাঁথা তার সব কাহিনির শেষ। ধরো যে ধুতুরা পুঁতা ছিল আমাদের মনে, তারা তোমার মতো। আর আমার গল্পের সব নারীই ধূসর, রহস্যময়, যোনি দুর্গের আধার। ভাবো তা তেমন টানে আমাকে, এসব কিছুর সঙ্গে কথা বলি—ধ্বংসচিহ্নের মধ্যে বলির পাঁঠাকে জ্যামিতি শেখাব বলে। তার পরও তুমি ভাবতে পার, অর্ধদগ্ধ কষ্টের জামপাতার কথা। অথচ আমরা তো কষ্টের নাম জানি না; কেবল পকেটে লুকিয়ে রাখি অশ্বত্থগাছ। আর যারা পাগলের মতো দীর্ঘ ও শোচনাহীন বাণী বুকে নিয়ে ঘোরে—তারা জানে শতাব্দী থেকে সুপ্রাচীন ব্যাবিলন হয়তো একদিন আমাদের দিকে ফিরে আসবে; ইতিহাসের সব গোপন রস ও পাপ নিয়ে।কচি রেজাহে কোলাহল তারপর পুড়ে পুড়ে আগুনের চেয়েও লাল আমার চুল,চিৎকার করেও উঠেছিলামচিতার ভাঁজে সেসব লিখেছিল গোরখোদক যখন চন্দনকাঠে ঢেকে ফেলা হয়মৃতদের বাজারেও দরদাম হয়নি অনুমান করেইমাঝেমধ্যে ভুলের মতন বেড়ে ওঠে নীল হয়ে যায় ওঝাকার দেহের মাংসে পুরু হচ্ছে ঠোঁট, কেউ খাঁচায় জল ভরে দিয়েছিল স্নানেরমন্ত্র পড়ে এবার নামাও আমাকেএকদিন সহজ ছিল না ছোঁয়া, খুব ভয় আজআমাকে লুকাও, হে কোলাহলরাসেল আহমেদএপিটাফে চোখ রেখেকবরখানার এপিটাফ স্পষ্টতর হতে শুরু করেছে গোরখোদকের দীর্ঘশ্বাসে। তুমি, আমার সঙ্গে কথা বলছ লাল মখমলের আরাম এবং মাশরুমের সুগন্ধ নিয়ে। কীট ও গোলাপের অন্তঃস্থ ঘুম ফেলে ফণীমনসার ঝোপে নেমে আসা আহত চাঁদ মৃত কাঁটার আঘাতে আবার উঠে যেতে শুরু করেছে দীর্ঘশ্বাসগুলোর সঙ্গে। গাছতলায় জমে আছে ১০০ বছরের সঞ্চিত আদিম সংস্কার।কতিপয় যাযাবর বেদে বলেছিল উড়ে যেতে হবে, যেহেতু কিছু দিগ্দর্শী নক্ষত্র উড়ছিল মাথার ওপর দিয়ে।অন্য স্ত্রীলোকের মতোই বেদেনীরা বলছিল হেঁটে আসার কথা, যেহেতু সরসর করে একটি সদ্য সরীসৃপ হেঁটে যাচ্ছিল মার্বেল-মাখা শরীরে মুমূর্ষু নগরের দিকে আর তাদের সমস্ত গায়ে চকচক করছিল আকাশ।স্পষ্টতর এপিটাফে চোখ রেখে অবশেষে তুমি, উচ্চারণ করেছিলে, দেখো, তোমারই ব্যবহার্য খড়িমাটি দিয়ে কেউ লিখে রেখে গেছে তোমার বংশ।লাল মখমলের আরাম এবং মাশরুমের সুগন্ধি চাতুর্য নিয়ে তারা গেঁথে যাচ্ছে কবর থেকে কবরে।আমরা দুঃখ-দুর্দশার গান গাইছি, সরকার তা শুনছে না কেন?মাকসুদুল হক খান, উত্তর সাতপাই, নেত্রকোনা সরকার এসব আদ্যিকালের গান শোনে না। মডার্ন গান শোনান।হাতি বাঁচলেও লাখ টাকা, মরলেও লাখ টাকা—কেন?বিক্রম মিস্ত্রি, একাডেমিক কেয়ার, বাগেরহাট কারণ, হাতি তো ‘মৎস্য’ না যে তা পুষলে লাখ টাকা কোটি টাকাতে গিয়ে ঠেকবে।বিটিভি ও বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের মধ্যে পার্থক্য কোথায়?সুমন পাল, সলঙ্গা, সিরাজগঞ্জ বিটিভি হলো সুখী চ্যানেল, বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল হলো দুঃখী চ্যানেল।কেউ পটোল তুললে কী হয়?খাদিজা আক্তার, সবুজবাগ, ঢাকা বাজারে বিক্রির জন্য উপযোগী হয়। |
পারমাণবিক অস্ত্র প্রতিযোগিতায় পাকিস্তান ও ভারত ‘বিপুল সম্পদের’ অপচয় করেছে বলে শুক্রবার মন্তব্য করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিবেশী ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের সঙ্গে বহুল প্রত্যাশিত বৈঠকের দুই দিন আগে তিনি এ কথা বলেন।জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে দেওয়া ভাষণে নওয়াজ শরিফ বলেন, ‘অস্ত্র প্রতিযোগিতা করতে গিয়ে আমাদের এ দুই দেশ বিপুল সম্পদ নষ্ট করেছে। এই সম্পদ আমরা আমাদের জনগণের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিতে কাজে লাগাতে পারতাম।’তিন দশক ধরে চিরবৈরী ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ে প্রতিযোগিতা চলছে।মনমোহনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে আজ রোববার অনুষ্ঠেয় বৈঠকে দুই দেশের সম্পর্কে ‘নতুন যাত্রা শুরু’ হবে বলেও প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন নওয়াজ। বিরোধপূর্ণ কাশ্মীরে গত সপ্তাহে নতুন করে সংঘাতের ঘটনা ঘটলেও জাতিসংঘে বিশ্বনেতাদের বার্ষিক অধিবেশনের ফাঁকে এ বৈঠক হবে বলে আশা করা হচ্ছে। যদিও শুক্রবার মনমোহন সিং এ থেকে বেশি কিছু আশা না করতে বলায় কিছুটা নৈরাশ্য সৃষ্টি হয়েছে। নওয়াজ শরিফ গত মে মাসে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পুনর্নির্বাচিত হওয়ার পর দুই নেতার মধ্যে এটিই হবে প্রথম বৈঠক।অধিবেশনের ভাষণে নওয়াজ বলেন, ‘পাকিস্তান ও ভারত মিলেমিশে সমৃদ্ধির দিকে এগোতে পারে এবং আমাদের মধ্যে সহযোগিতায় পুরো অঞ্চলই লাভবান হবে...আমরা ভারতের সঙ্গে বাস্তবভিত্তিক ও ফলপ্রসূ সংলাপে বসতে প্রস্তুত। দুই দেশের সম্পর্ক নতুন করে সূচনা করতে সুযোগের অপেক্ষায় আছে। ডন।নীলফামারীতে কলেজছাত্রীদের নিয়ে দুই মাসব্যাপী কারাতে প্রশিক্ষণ গতকাল মঙ্গলবার শেষ হয়েছে।দুপুরে নীলফামারী সরকারি মহিলা কলেজ চত্বরে সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে সনদপত্র তুলে দেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি নীলফামারীর জেলা প্রশাসক এস এম মাহফুজুল হক। উদায়াঙ্কুর সেবা সংস্থা ও নীলফামারী সরকারি মহিলা কলেজ আয়োজিত প্রশিক্ষণে ওই কলেজের ৩১ জন ছাত্রী অংশ নেন। কলেজের অধ্যক্ষ এ টি এম মোস্তফা চৌধুরীর সভাপতিত্বে সমাপনী অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন কলেজের উপাধ্যক্ষ আতাউর রহমান মণ্ডল প্রমুখ।মিসরের ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসিপন্থী ২১ জন নারী সমর্থককে ১১ বছর করে কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন কায়রোর একটি আদালত। গত মাসে আলেক্সান্দ্রিয়ায় সরকারবিরোধী এক বিক্ষোভে শক্তি প্রয়োগ, ক্ষতিসাধন, গাড়ি চলাচলে বাধা ও একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সঙ্গে সম্পর্ক রাখাসহ নানা অভিযোগ এনে তাদের এই সাজা দেওয়া হলো।কায়রোয় সাজাপ্রাপ্ত নারী কর্মীদের মধ্যে সাতজনেরই বয়স ১৮ বছরের নিচে। তাই তাদের কিশোর আদালতে পাঠানো হবে। মানবাধিকার কর্মীরা এই রায়ের তীব্র সমালোচনা করেছেন। একজন কর্মী এ রায়কে ‘পাগলামি’ বলে অভিহিত করে।সাজাপ্রাপ্ত নারীদের স্বজনেরা জানান, বিক্ষোভটি ছিল শান্তিপূর্ণ। তার পরও তাদের আটক করে সাজা দেওয়া হয়েছে। সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে নিরপরাধ নারীও রয়েছে। একজনের পরিবার বলেছে, ঘটনার সময় তাঁদের ১৫ বছরের মেয়ে স্কুলে যাচ্ছিল। তাঁর আইনজীবী বলেন, তিনি ধারণা করেছিলেন, মেয়েটিকে হয়তো এক মাসের সাজা দেওয়া হবে।একই আদালত মুসলিম ব্রাদারহুডের ছয়জন নেতাকেও ১৫ বছরের সাজা দিয়েছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁরা সরকারবিরোধী বিক্ষোভে উসকানি দিয়েছেন।এদিকে কায়রোয় নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত হুসেইন আভনি বতসালি গত বুধবার দেশে ফিরে গেছেন। তিনি ইস্তাম্বুল বিমানবন্দরে নেমে সাংবাদিকদের কোনো প্রশ্নের জবাব না দিয়েই বেরিয়ে যান। মুরসির প্রতি আঙ্কারার সমর্থনকে কেন্দ্র করে তুর্কি দূতকে বহিষ্কার করেছে কায়রো।গত জুলাইয়ে সেনাবাহিনী মোহাম্মদ মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করে। বিবিসি ও এএফপি।জ্যোতিষী সাহেব, আমার আগে যারা গেল, সবার হাত দেইখা আপনে পাথর দিলেন। কিন্তু আমারে পাথর না দিয়া এইটা কী দিলেন?ময়লার জন্য হাতের রেখা দেখা যাইতাছে না। তাই সাবান দিলাম। যান, কচলায়া হাত ধুইয়া আসেন। |
মিসরের সাবেক স্বৈরশাসক হোসনি মোবারকের কারা চিকিৎসককে গতকাল শনিবার গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছেন কায়রোর একটি আদালত। তাঁর বিরুদ্ধে সংবেদনশীল তথ্য ফাঁসের অভিযোগ রয়েছে।আল-ইউম আল-সাবেয়া পত্রিকায় মোবারক ও তাঁর চিকিৎসকের মধ্যে ব্যক্তিগত কথাবার্তার বিবরণ প্রকাশিত হয়। মুরসির পতনের আগের ওই কথোপকথনে মুরসি ও তাঁর দলের সমালোচনা করেন মোবারক। এক পর্যায়ে তিনি সেনাপ্রধান জেনারেল আবদেল-ফাত্তাহ আল-সিসির প্রশংসাও করেন। আল-আহরাম।নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার শিমুলবাড়ি ইউনিয়নের ডিয়াবাড়ি বাজারে গত সোমবার রাতে আগুন লেগে ২৪টি দোকান ভস্মীভূত হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত সাড়ে ১১টার দিকে বাজারের ওবায়দুর রহমানের মুদির দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তের মধ্যে তা গোটা বাজারে ছড়িয়ে পড়ে। নীলফামারী দমকল বাহিনীর একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয় ব্যক্তিদের সহযোগিতায় প্রায় দুই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনে ২৪টি দোকান সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়। ক্ষতিগ্রস্ত হয় ৪০টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান।নীলফামারী প্রতিনিধিবিনা মূল্যে অস্ত্রোপচারনারীদের প্রসবজনিত ভেসিকোভ্যাজাইনাল ফিস্টুলার (ভিভিএফ) রোগের বিনা মূল্যে অস্ত্রোপচার করা হবে আগামী শনি ও রোববার রংপুর কমিউনিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। অস্ত্রোপচারে উপস্থিত থাকবেন ঢাকা থেকে আগত বিশিষ্ট চিকিৎসক আনোয়ার হোসেন, ফারহানা দেওয়ান, খলিলুর রহমান ও আবদুর রহমান। আগ্রহী রোগীদের হাসপাতালে যোগাযোগ করার জন্য ওই মেডিকেল কলেজের পক্ষ থেকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হয়েছে।নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুরমিয়ানমারের বিরোধীদলীয় নেত্রী অং সান সু চি গতকাল বৃহস্পতিবার বলেছেন, তিনি কোনো সন্ত নন, কোনো আইকনও নন। নিজেকে তিনি কেবল একজন সৎ রাজনীতিবিদ হিসেবে দেখেন এবং বিভিন্ন উপাধি অপছন্দ করেন।গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলনে বিশেষ অবদানের কারণে নন্দিত এই নেত্রী অস্ট্রেলিয়া সফরকালে সিডনি শহরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে গতকাল বলেন, ‘আমি বরাবরই নিজেকে একজন রাজনীতিবিদ মনে করতাম। নিজেকে সেভাবেই দেখি, কোনো আইকন হিসেবে নয়। আইকন শব্দটি নিয়ে আমার সব সময়ই আপত্তি আছে। কারণ, এটি নিশ্চল, কোথাও দাঁড়িয়ে বা বসে থাকে কিংবা দেয়ালে ঝুলে থাকে। কিন্তু আমাকে তো অনেক অনেক কঠিন কাজ করতে হয়।’মিয়ানমারে সামরিক জান্তার শাসনামলে বহু বছর অন্তরীণ ছিলেন সু চি। মুক্তিলাভের পর তিনি আবারও রাজনীতিতে সক্রিয় হন। তবে নোবেল শান্তি পুরস্কারজয়ী এই নেত্রী নিজেকে একজন সাধারণ মানুষ উল্লেখ করে বলেন, ‘আমি নিশ্চিত করে বলছি, আমি সন্ত নই। কারণ, রাজনীতিবিদেরা আসলে রাজনীতিবিদই।’ এএফপি।রাশিয়ার উত্তর ককেশাস অঞ্চলের ভলগোগ্রাদ শহরের প্রধান ট্রেন স্টেশনে গতকাল রোববার এক শক্তিশালী বিস্ফোরণে অন্তত ১৮ জন নিহত হয়েছে। এতে প্রায় ৪০ জন আহত হয়েছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বলেছে, ওই হামলায় একজন আত্মঘাতী নারী জড়িত ছিলেন। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রচারিত ভিডিওচিত্রে দেখা যায়, লাল ইটের তৈরি স্টেশনটির ওপরের দুটি তলা বিস্ফোরণে বিধ্বস্ত হয়েছে। ভবনটির সামনে বিপুল পরিমাণ ধ্বংসাবশেষ ছড়িয়ে রয়েছে। সেখান থেকে আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে নেওয়া হয়।ঘটনাটিকে সন্ত্রাসবাদীদের কাজ আখ্যা দিয়েছে রাশিয়ার জাতীয় সন্ত্রাসবিরোধী কমিটি। তারা বলেছে, একজন আত্মঘাতী নারী হামলাকারীর জড়িত থাকার প্রাথমিক প্রমাণ মিলেছে। কেন্দ্রীয় পুলিশের একজন মুখপাত্র বলেন, সব ট্রেন স্টেশন ও বিমানবন্দরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।এ হামলার দায় তাক্ষণিকভাবে কেউ স্বীকার করেনি। বার্তা সংস্থা ইন্টারফ্যাক্স একটি সূত্রের বরাত দিয়ে জানায়, স্টেশনের প্রবেশপথে ধাতব বস্তু শনাক্তকরণ যন্ত্রে ওই বোমার উপস্থিতি ধরা পড়েছিল।সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের যুগে ভলগোগ্রাদ শহরটি স্তালিনগ্রাদ নামে পরিচিত ছিল। সেখানে গত অক্টোবরেও এক নারী আত্মঘাতীর হামলায় একটি যাত্রীবাহী বাসে অন্তত ছয়জন নিহত হয়েছিল। রাশিয়ার উত্তর ককেশাস অঞ্চলে কেন্দ্রীয় সরকারের নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধরত কট্টর ইসলামপন্থীরা এসব হামলার ঘটনায় জড়িত বলে ধারণা করা হয়। ওই বিদ্রোহীরা রাশিয়ার বড় বড় শহরগুলোতে হামলা চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।সম্প্রতি একাধিক সন্ত্রাসী হামলা হওয়ায় মস্কো কর্তৃপক্ষ রীতিমতো উদ্বিগ্ন ও সতর্ক। কারণ ভলগোগ্রাদের কাছাকাছি শহর শোচিতে ছয় সপ্তাহ পরেই শুরু হতে যাচ্ছে শীতকালীন অলিম্পিক। সন্ত্রাসী হামলা প্রতিরোধে বাড়তি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার সতর্ক অবস্থান নিচ্ছে।ক্রেমলিনের একজন মুখপাত্র বলেন, প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সব ধরনের নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে নির্দেশ দিয়েছেন।চেচেনের বিদ্রোহী নেতা দকু উমারভ গত জুলাইয়ে অনলাইনে প্রকাশিত এক ভিডিও বার্তায় বলেন, শীতকালীন অলিম্পিকের আসর ভন্ডুল করতে জঙ্গিরা ‘সর্বোচ্চ শক্তি’ কাজে লাগাচ্ছে। এএফপি ও বিবিসি। |