content
stringlengths
40
35k
সুন্দরবনে বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পশুপাখিরা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ন্যাশনাল জু-এর অন্যতম সদস্য লায়ন কিং সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, বিদ্যুৎ উৎপাদনে সুন্দরবনে কোনো ক্ষতিকর রাসায়নিক উপাদান ব্যবহার করা হচ্ছে কি না, তা খতিয়ে দেখার কথা ভাবছেন তাঁরা। কিং বলেন, ‘সুন্দরবনের নিরীহ জীবজন্তুর ওপর রাসায়নিক অত্যাচার মেনে নেওয়া হবে না।’আফ্রিকার জিরাফ বলেন, ‘অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে, বিশ্বের কোথাও পশুরা নিরাপদ নয়। আমি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই।’ রাশিয়ার শ্বেত ভালুক সুন্দরবনের সব পশুপাখির পাশে আছেন জানিয়ে যেকোনো বিপদে তাঁদের মেরু অঞ্চলে রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। চীনের পান্ডা নিজের টুইটার বার্তায় উদ্বেগ প্রকাশ করে লিখেছেন, ‘বাঘ-হরিণের জন্য আমার চিন্তা হচ্ছে। আমি চাই না তাঁরাও আমাদের মতো বিলুপ্ত হয়ে যাক।’বাংলাদেশে ব্যবসা ‘একটু’ সহজ হয়েছে বলে জরিপ করে জেনেছে বিশ্বব্যাংক ও আইএফসি (ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স করপোরেশন)। এই ‘একটু’ অগ্রগতিকে ‘একটু’ সুখবরই বলতে হবে। কিন্তু বিশ্বের মধ্যে আগের চেয়ে দুই ধাপ এগিয়ে যাওয়াই কি যথেষ্ট? এখনো যে আমাদের অবস্থান ১৮৯টি দেশের মধ্যে ১৩০তম!বিশ্বব্যাংক ও আইএফসির ২০১৩ সালের সূচকে বাংলাদেশ ছিল ১৩২তম, ২০১৪ সালের সূচকে তা হয়েছে ১৩০তম। এসবের মধ্যে ব্যবসা শুরুর সূচকে অগ্রগতি হয়েছে ৯ ধাপ। গত বছরে ছিল ৮৩তম, এ বছর হয়েছে ৭৪তম। অর্থাৎ এখানে নতুন ব্যবসা খুলতে সময় লাগে ১০ দশমিক ৫ দিন। এটা ভারতের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ এগিয়ে। ব্যবসা শুরু করা আগের তুলনায় সহজ হলেও এর জন্য কত ধাপে ঘুষ দিতে হয় বা হয়রানির শিকার হতে হয়, সেটা এই জরিপে উল্লেখ করা হয়নি। সম্পত্তি নিবন্ধন, চুক্তি বাস্তবায়নের মতো বিষয়ে এখনো অনেক বাধা। রাজনৈতিক প্রভাবের কাছে জিম্মি থাকতে হয় অনেক ছোট-বড় ব্যবসায়ীকে। এসব বিষয় আমলে নেবে কে?ব্যবসা-বাণিজ্য এক সমন্বিত কার্যক্রম। প্রাকৃতিক ও রাজনৈতিক আবহাওয়া তো বটেই, শেয়ারবাজার থেকে ব্যাংক, যাতায়াত থেকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি—সবই ব্যবসা-বাণিজ্যে প্রভাব ফেলে। প্রথম আলোর গত বুধবারের সংবাদেই রয়েছে, চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্য আমদানি-রপ্তানি কমে গেছে। ভোমরা স্থলবন্দর হরতালের জন্য তৃতীয় দিনের মতো বন্ধ ছিল এবং বেনাপোল স্থলবন্দরে ৫৭৯ ট্রাক পণ্য নিয়ে আটকা পড়ে ছিল গতকাল পর্যন্ত। রাজনৈতিক অস্থিরতার আশঙ্কায় ব্যবসায়ী মহলের উদ্বেগ নিয়মিতই প্রকাশিত হচ্ছে।বাংলাদেশের মানুষের উদ্যম ও পরিশ্রমের কারণে ধীরে হলেও বিভিন্ন ক্ষেত্রেই অগ্রগতি হচ্ছে। কিন্তু রাজনৈতিক নেতৃত্বের তৈরি করা সমস্যা এবং সর্বব্যাপী দুর্নীতি এর গতিকে পেছন থেকে টেনে রাখছে। এ থেকে প্রমাণিত হয়, বাংলাদেশের প্রধান সমস্যাটিই রাজনৈতিক। ব্যবসা-বাণিজ্যের পরিবেশ সহজ, নিরাপদ ও লাভজনক করতে গেলে রাজনৈতিক ব্যবস্থাপনার উন্নতি খুবই প্রয়োজন। কিন্তু আগামী নির্বাচন নিয়ে দেশ যে আবার হরতাল-অবরোধের কবলে পড়ছে, তা থেকে উত্তরণের উপায় কী?জীবনে বহু পুরস্কার পেয়েছেন। তবে নিঃসন্দেহে এবারের পুরস্কারের মাহাত্ম্য ভিন্ন। বহুদিন ধরেই ওয়াসিম আকরাম যুদ্ধ করে চলছেন ডায়াবেটিসের বিরুদ্ধে। সুইংয়ে যেমন কাবু করতেন ব্যাটসম্যানদের, একইভাবে কাবু করেছেন ডায়াবেটিসকেও। স্বীকৃতি হিসেবে পেলেন ইয়াং লিডার্স পুরস্কার। ২ থেকে ৬ ডিসেম্বর মেলবোর্নে অনুষ্ঠেয় ওয়ার্ল্ড ডায়াবেটিস কংগ্রেসে তাঁকে এই সম্মাননা দেওয়া হবে। এর আয়োজক আন্তর্জাতিক ডায়াবেটিক ফাউন্ডেশন।সেই ১৯৯৭ সাল থেকে ডায়াবেটিসে ভুগছেন। বিশ্বের অন্যতম প্রাণঘাতী রোগটিকে বশে রেখেই খেলে গেছেন। দমবার পাত্র তিনি নন। মাঠের লড়াইয়ে কাউকে ছাড় দেননি। ডায়াবেটিসকে কেন দেবেন? ঠিকই নিয়ন্ত্রণে রেখেছেন প্রাণঘাতী রোগকে। আর এতেই মিলল পুরস্কার। আকরাম বলেছেন, ‘শৃঙ্খলা ও কঠোর পরিশ্রমের কারণেই ডায়াবেটিসের সঙ্গে লড়তে পেরেছি। আর ইয়াং লিডার্স পুরস্কার এ শৃঙ্খলারই প্রতিদান।’রোগটি সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধিতে ডিসেম্বরের কংগ্রেসে ভাষণও দেওয়ার কথা রয়েছে আকরামের। সর্বকালের অন্যতম সেরা এই পেসার বলেছেন, ‘ডায়াবেটিস সম্পর্কের মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধি খুবই জরুরি। কেন না বহু লোকের ধারণা এটি নিরাময়যোগ্য নয়।’বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার মতে, ২০১১ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা প্রায় এক কোটি ২৯ লাখ। এ রোগ কীভাবে সামলাতে হয়, এখন সে দাওয়াই দিতে চান আকরাম, ‘বক্তৃতা দেব। কীভাবে শরীরচর্চা ও খাদ্য নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে এটি নিয়ন্ত্রণে আনতে হয় সেটি মানুষকে শেখাব। ডায়াবেটিসে কতটা যন্ত্রণা পোহাতে হয়েছে, সেই অভিজ্ঞতার কথাও জানাব সবাইকে।’পশ্চিমবঙ্গের একমাত্র পাহাড়ি জেলা দার্জিলিংকে নিয়ে পৃথক গোর্খাল্যান্ড রাজ্য গড়ার যে আন্দোলন শুরু করেছিল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা, ২৬ ডিসেম্বর পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপালের কাছে নতুন করে শপথ নিয়ে সেই আন্দোলনের ইতি টানলেন আন্দোলনকারী জনমুক্তি মোর্চার নেতা বিমল গুরুং। ফের দায়িত্বও নিলেন তিনি গোর্খাল্যান্ড টেরিটরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বা জিটিএর। আর হাত মেলালেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সঙ্গে; মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। কথা দিলেন, এবার আর পাহাড়ে আন্দোলন নয়, চলবে উন্নয়নের কাজ। ফলে কয়েক বছর ধরে চলা পৃথক গোর্খাল্যান্ড রাজ্যের আন্দোলনের দ্বিতীয়বারের মতো যবনিকাপাত হলো। এতে দারুণ খুশি দেশ-বিদেশের পড়তে আসা ছাত্রছাত্রীরা। কারণ, এখনো ভারতের বিভিন্ন রাজ্য, বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের বিপুলসংখ্যক ছাত্রছাত্রী পড়তে আসেন দার্জিলিংয়ের বিভিন্ন স্কুল-কলেজে।এই দার্জিলিংয়ে গোর্খা ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্ট বা জিএনএলএফের নেতা সুভাষ ঘিসিংই প্রথম শুরু করেছিলেন পৃথক গোর্খাল্যান্ড রাজ্য গড়ার দাবি নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলন। শেষমেশ তিনিও পেরে উঠতে পারেননি তৎকালীন কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের সঙ্গে যুদ্ধ করে। অবশেষে যুদ্ধের ময়দান ছেড়ে তৎকালীন রাজ্য সরকারের প্রস্তাবমতো স্বায়ত্তশাসিত দার্জিলিং-গোর্খা পার্বত্য পরিষদ গঠন করে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল তাঁকে। যেমনটা গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার নেতা বিমল গুরুংকেও সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল পৃথক স্বায়ত্তশাসিত জিটিএ গঠন করে। একসময় এই জিএনএলএফেরই সদস্য ছিলেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার নেতা বিমল গুরুং। ছিলেন দার্জিলিং-গোর্খা পার্বত্য পরিষদের কাউন্সিলরও।২০০৭ সালে সুভাষ ঘিসিংয়ের এই ভাবশিষ্য বিমল গুরুং হঠাৎ বিদ্রোহ করে বসেন জিএনএলএফের নেতা সুভাষ ঘিসিংয়ের বিরুদ্ধে। নতুন করে পৃথক গোর্খাল্যান্ড রাজ্য গড়ার দাবি নিয়ে মাঠে নেমে পড়েন তিনি। গড়ে তোলেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। তাঁরই আন্দোলনে অশান্ত হয়ে পড়ে পাহাড়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত রাজ্য সরকারের সঙ্গে পেরে উঠতে না পেরে রণে ভঙ্গ দেন। ২৬ ডিসেম্বর ফের জিটিএর নির্বাহী প্রধান হিসেবে শপথ নেন তিনি রাজ্যপালের কাছে। ফলে দীর্ঘদিনের পৃথক গোর্খাল্যান্ড রাজ্যের আন্দোলনে ইতি টানেন বিমল গুরুং।জনমুক্তি মোর্চা বেশ জোরেশোরেই শুরু করেছিল পৃথক গোর্খাল্যান্ড রাজ্যের দাবিতে আন্দোলন, সেই বামফ্রন্টের আমলে, ২০০৭ সালে। তখন বিরোধী দলের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এগিয়ে এসেছিলেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার আন্দোলনের পাশে। ঘোষণা দিয়েছিলেন, তাঁর দল ক্ষমতায় এলে দার্জিলিং সমস্যার সমাধান করে দেবেন তিনি। ফলে সেদিন জনমুক্তি মোর্চাও মমতার পাশে এসে দাঁড়িয়েছিল।২০১১ সালে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হয়ে মমতা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হন। এর পরই ওই বছরের ১৮ জুলাই গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা, পশ্চিমবঙ্গ সরকার ও কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্যোগে সহমতের ভিত্তিতে গড়া হয় গোর্খাল্যান্ড টেরিটরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন। এটি একটি স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা। জিটিএর প্রধান নির্বাহী হন জনমুক্তি মোর্চার সভাপতি বিমল গুরুং। শুরুও হয় জিটিএর উন্নয়নের কাজ।হঠাৎ জিটিএর কাজে ছেদ ঘটে এ বছরের ২৯ জুলাইয়ের কেন্দ্রীয় সরকারের অন্ধ্র প্রদেশ ভেঙে পৃথক গোর্খাল্যান্ড রাজ্য গড়ার ঘোষণায়। আর এর পরই পশ্চিমবঙ্গের একমাত্র পাহাড়ি জেলা দার্জিলিংকে একটি পৃথক রাজ্যের মর্যাদা দেওয়ার দাবিতে ফের আন্দোলন শুরু করে জনমুক্তি মোর্চা। শুধু তা-ই নয়, এ বছরের ৩০ জুলাই এই আন্দোলনকে বেগবান করার জন্য জিটিএর প্রধান নির্বাহীর পদ থেকে ইস্তফাও দেন বিমল গুরুং। তবে জনমুক্তি মোর্চার এই আন্দোলনে সাড়া দেয়নি কেন্দ্রীয় বা পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার।ফলে দীর্ঘ ৪৩ দিন একটানা আন্দোলন করে দাবি আদায়ের কোনো প্রতিশ্রুতি না পেয়ে অবশেষে মুখরক্ষার জন্য রণে ভঙ্গ দেয় জনমুক্তি মোর্চা। ঘোষণা দেয়, ৪০ দিনের জন্য স্থগিত রাখা হয়েছে এই আন্দোলন। অর্থাৎ গত ২০ অক্টোবর পর্যন্ত। কারণ হিসেবে দেখানো হয়, পূজা এবং ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনার দিক বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে জনমুক্তি মোর্চা।গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা এই যুক্তি খাড়া করলেও রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকেরা মনে করছেন, গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা এটা ভালো করেই বুঝে নিয়েছে যে পশ্চিমবঙ্গ সরকার বা কেন্দ্রীয় সরকার কেউই পৃথক রাজ্যের দাবি মানবে না। পশ্চিমবঙ্গের কোনো রাজনৈতিক দল কখনো চাইছে না এই রাজ্য ভেঙে দুই টুকরা হোক। চাইছে না পশ্চিমবঙ্গের ঐতিহ্য পাহাড় হাতছাড়া হোক। তাই পশ্চিমবঙ্গের মানুষও একজোট হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ ভেঙে পৃথক গোর্খাল্যান্ড রাজ্য গড়ার বিরুদ্ধে।এদিকে এই আন্দোলনের জের ধরে পাহাড়ের একমাত্র চা ও পর্যটনশিল্প প্রচণ্ডভাবে মার খেতে থাকে। পাহাড়বাসীও রুটি-রুজির প্রশ্নে চাপ দিতে থাকে জনমুক্তি মোর্চার ওপর। আর এসব কারণে পাহাড়বাসীকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য আন্দোলন থেকে সরে আসার পথ খুঁজতে থাকে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা।১৯৮০ সালের দিকে এই পৃথক গোর্খাল্যান্ড রাজ্যের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছিলেন জিএনএলএফের নেতা সুভাষ ঘিসিং। তখনো দাজিলিং জ্বলে উঠেছিল। দার্জিলিং ছেড়েছিলেন দেশি-বিদেশি পর্যটক আর ছাত্রছাত্রীরা। সেদিন পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল বহু বাড়িঘর, হোটেলও। গোটা দার্জিলিং পুড়েছিল রাজনৈতিক আগুনে। পরবর্তী সময়ে ১৯৮৮ সালের ৫ সেপ্টেম্বর রাজ্য সরকার, জিএনএলএফ ও কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্যোগে পৃথক স্বশাসিত ‘দার্জিলিং-গোর্খা পার্বত্য পরিষদ’ গড়ে সামাল দেওয়া হয় পৃথক রাজ্যের আন্দোলনকে। সে সময় দার্জিলিং সমস্যা সমাধানের জন্য এগিয়ে এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী। সেদিন পার্বত্য পরিষদের চেয়ারম্যান করা হয় সুভাষ ঘিসিংকে। জনমুক্তি মোর্চার নেতা বিমল গুরুংও ছিলেন জিএনএলএফের অন্যতম নেতা।কিন্তু পরবর্তী সময়ে সুভাষ ঘিসিংয়ের সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় তিনি জিএনএলএফ ছেড়ে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা গঠন করে ২০০৭ থেকে নতুন করে পৃথক গোর্খাল্যান্ড রাজ্য গড়ার আন্দোলনে নামেন। দার্জিলিংজুড়ে শুরু করেন তীব্র আন্দোলন। সেই আন্দোলনেরই ইতি টানলেন বিমল গুরুং। ২৬ ডিসেম্বর ফিরে গেলেন জিটিএতে। শপথ নিলেন রাজ্যপাল এম কে নারায়ণনের কাছে। ফের হলেন জিটিএর প্রধান নির্বাহী।অমর সাহা, প্রথম আলোর কলকাতা প্রতিনিধি।
হ্যাভিট ব্র্যান্ডের এইচভি টি-৭০৩ মডেলের নতুন ট্যাবলেট বাজারে এসেছে। এতে রয়েছে অ্যান্ড্রয়েড ৪.১.১ সংস্করণ অপারেটিং সিস্টেম, থ্রিজি মডেম সমর্থন, সাত ইঞ্চি পর্দা, ১.২ গিগাহার্জ প্রসেসর, ৫১২ মেগাবাইট র‌্যাম, ৪ গিগাবাইট মেমোরি, ফ্রন্ট ও রেয়ার ক্যামেরা, ওয়াই-ফাই ইত্যাদি।কম্পিউটার সিটি টেকনোলজিস লিমিটেডের আনা ট্যাবলেটটির দাম সাত হাজার টাকা। —বিজ্ঞপ্তিঘরের ড্রইংরুমের দেয়ালে আটকে যায় চোখ। সেখানে ঝোলানো আছে কোনো এক পারিবারিক অনুষ্ঠানের আনন্দময় মুহূর্তের স্থির চিত্র। মাকে জড়িয়ে ধরেছেন হাস্যোজ্জ্বল মাহমুদুর রহমান। ছবিটার দিকে তাকাতেই চোখ ভিজে উঠছে বাড়ির বাসিন্দাদের। এই প্রাণখোলা হাসি আর দেখা যাবে না। ঘরজুড়ে তাই শূন্যতা, নীরব আহাজারি।কৈশোরে যে পুকুরে দাপাদাপি করে সময় কেটেছে সেই পুকুরপাড়েই চিরদিনের মতো ঘুমিয়ে আছেন মাহমুদুর। বাড়িতে সবাই ডাকতেন হাসনাত আর বন্ধুরা ডাকতো জয় বলে। স্বপ্ন ছিল আইনজীবী হওয়ার। সে লক্ষ্যে এগিয়েছিলেন বহুদূর। বিজিসি ট্রাস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে এলএলএম এ পড়ছিলেন। পাশাপাশি চট্টগ্রাম আদালতের জ্যেষ্ঠ এক আইনজীবীর সঙ্গে শিক্ষানবিশ হিসেবে কাজ করছিলেন। কিন্তু গ্যাস সিলিন্ডার দুর্ঘটনা চিরতরে থামিয়ে দিল সব।কোরবানির ঈদের রাত। সন্ধ্যায় বাবা-মাকে গ্রামে রেখে নগরের বাকলিয়ায় অবস্থিত বাসায় ফিরে আসেন মাহমুদুর রহমান। রাত আটটার দিকে বাসায় হঠাৎ গ্যাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরণ ঘটে। মাহমুদুরের শরীরের বিভিন্ন অংশ পুড়ে যায়। পরে স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে ওই রাতেই তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে স্থানান্তর করা হয়। বাঁচানোর সব চেষ্টাই হয়েছিল। উন্নত চিকিৎসার কোনটিই বাদ যায়নি। কিন্তু ফেরানো গেল না মাহমুদুর ওরফে হাসনাতকে। মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে ২২ অক্টোবর ভোররাতে চিরদিনের জন্য হারিয়ে গেলেন তিনি।মাহমুদুরের পড়ার ঘরটা এখনো অক্ষত আছে। চারদিকে ছড়িয়ে থাকা বইগুলো আগের মতোই আছে। ঠেস দিয়ে দাঁড় করিয়ে রাখা গিটারটিও আছে। এই কক্ষে ঢুকে সন্তানকে খুঁজে ফেরেন বাবা মোহাম্মদ জাফরুল্লাহ।সন্তান হারিয়ে শোকে স্তব্ধ জাফরুল্লাহ বলেন, ‘জীবনের সব আলোই নিয়ে গেল ছেলেটা। প্রতিদিন আদালতে যাওয়ার আগে আমাকে আদর করে আর কেউ বলবে না ‘বাবা বের হচ্ছি দোয়া করিও।’শোকবার্তায় ভরে গেছে মাহমুদুরের ফেসবুক ওয়াল। বন্ধুদের সঙ্গে আর কখনো মেতে উঠবেন না আড্ডায়। কখনো আর গিটার বাজিয়ে আসর জমিয়ে তুলবেন না তিনি। না, মানতে পারছে না তাঁর বন্ধুরাও।বিজিসি ট্রাস্ট্রবিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ক্যাম্পাসের আইন বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তাউফিকা লিনা বলেন, ‘খুব চঞ্চল ও চটপটে ছিল মাহমুদুর। দুষ্টুমিও করত। কিন্তু তাঁর মায়ামায়া মুখখানার দিকে তাকিয়ে কখনো বকা দিতে পারিনি।’বিজিসি ট্রাস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় গানের দলও গড়ে তুলেছিলেন মাহমুদুর। পড়াশোনা আর আদালতে প্রশিক্ষণের ফাঁকে চট্টগ্রামের বিভিন্ন জায়গায় ডিজে শো করতেন তিনি। প্রায় সব আসরেই বাজাতেন একটি গান। ‘যে দেশে শাসন-বারন-সোনার খাঁচা নাই, ইচ্ছে করে তোরে লইয়া যাই।’ সেই ইচ্ছাই কি পূরণ হলো মাহমুদুরের? সবাইকে ছেড়ে তাই এভাবেই চলে যাওয়া?‘গরুর গাড়ির দুই চাকা গুরগুরাইয়া চলে।’ গানটা কার জানি না। তবে সেই গানের কলি এক বিশেষ মুহূর্তে শুনছিলাম আমি আমার সাড়ে তিন বছরের নাতনির মুখে ২০০৯ সালে, যা এখনো যেকোনো অবসর সময়ে মনে পড়লে আমার নাতনির জন্য মনটা হু হু করে ওঠে।সেদিন ২০০৯ সালের ৫ জুলাই। আমার বড় ছেলে বৃত্তি নিয়ে পিএইচডি করতে সপরিবারে (সপরিবার বলতে ওর স্ত্রী আর একমাত্র মেয়ে) অস্ট্রেলিয়া যাবে। আমরা সবাই গেছি ওদের ঢাকা বিমানবন্দর পর্যন্ত এগিয়ে দিতে। আমরা সবাই গাড়িতে বসলাম, গাড়ি স্টার্ট করল। সবার মন খারাপ। কারণ, অনেক দূরদেশের যাত্রা। ঠিকঠাকমতো পৌঁছাবে তো, এই টেনশন আমার মনের মধ্যে।এদিকে আমার নাতনি যাকে আমি ‘দাদু’ ডাকি, হঠাৎ করে গাড়িতে বসে আপন মনে স্পষ্ট গলায় গেয়ে উঠল ‘গরুর গাড়ির চার চাকা গুরগুরাইয়া চলে।’ দাদুর সে কী আনন্দ।সেদিন দাদু হয়তো ভাবছিল সবাইকে সঙ্গে নিয়ে বিদেশ যাচ্ছে। এই কারণে ওর এত আনন্দ। যাহোক, আমরা যথাসময়ে বিমানবন্দরে পৌঁছালাম। গাড়ি থেকে নেমেও দাদুর সে কী খুশি। এদিক-ওদিক দৌড়াচ্ছে। আর শেষে যখন দাদু ওর মা-বাবার সঙ্গে কাচঘরের ভেতরে ঢুকে গেল, তখন দাদু দেখল যে আমরা আর কেউ কাচঘরে ঢুকছি না। ওর মা-বাবা কাগজপত্র দেখাতে ব্যস্ত। আমরা সবাই কাচের দেয়ালের বাইরে দাঁড়িয়ে আছি। দাদু আমাদের দিকে তাকিয়ে হাতের ইশারায় আমাদের ডাকছে। দাদুর অবুঝ মনের ব্যাকুলতা দেখে চোখ ঝাপসা হয়ে আসছিল। সবশেষে দাদুকে ছাড়া আমরা আবার ফিরে এলাম। আসতে আসতে শুধু মাথায় ঘুরছিল দাদুর গানের কলি। গরুর গাড়ির দুই চাকা...গুলনাহার বেগম, চট্টগ্রামতালিকাভুক্ত একাধিক কোম্পানির শেয়ার নিয়ে কারসাজির ঘটনা তদন্তে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) পক্ষ থেকে গতকাল সোমবার এই কমিটি গঠন করা হয়। বিএসইসির মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমান কমিটি গঠনের বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেন।জানা গেছে, কমিশনের উপপরিচালক আবুল কালাম আজাদ ও নজরুল ইসলামের সমন্বয়ে এই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে তাদের তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।বিএসইসি জানিয়েছে, স্টার শেয়ারবাজার লিমিটেড ও বিনিয়োগকারী গোলাম মোস্তফা মিলে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি তাকাফুল ইনস্যুরেন্সের ১০ শতাংশের বেশি শেয়ার ধারণ করেছে। নিয়ম অনুযায়ী, বিএসইসির অনুমোদন ছাড়া কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান তালিকাভুক্ত কোনো কোম্পানির ১০ শতাংশ বা তার বেশি শেয়ার ধারণ করতে পারে না। কিন্তু গোলাম মোস্তফা ও তাঁর নিয়ন্ত্রণাধীন প্রতিষ্ঠান স্টার শেয়ারবাজার যৌথভাবে অনুমোদন ছাড়া তাকাফুল ইনস্যুরেন্সের ১০ শতাংশ শেয়ার ধারণ করেছে। বিষয়টি অনুসন্ধানের উদ্যোগ নিয়েছে বিএসইসি।এ ছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে কিছু কোম্পানির শেয়ারের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধিকে প্রভাবিত করার অভিযোগে বেশ কয়েকজন বিনিয়োগকারীর শেয়ার লেনদেনসংক্রান্ত তথ্যও যাছাইবাছাই করবে বিএসইসি। গঠিত দুই সদস্যের তদন্ত কমিটিকে এসব বিষয় অনুসন্ধান বা তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
সুন্দরবনে বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করা হবে—এমন খবর পাওয়ার পর থেকেই জঙ্গলে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। আসন্ন দুর্যোগের কথা ভেবে অসংখ্য বানরকে মন খারাপ করে গাছে ঝুলে থাকতে দেখা গেছে। কী ঘটতে যাচ্ছে, সেই জটিল প্যাঁচ মেলাতে না পেরে কয়েকটি অজগর কুণ্ডলী পাকিয়ে বসে আছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে বেশ কিছু হায়েনা নিয়োগ দেওয়ার কথা ভাবছেন বনের সমাজকল্যাণমন্ত্রী। মন্ত্রী বলেন, ‘হায়েনা যেহেতু সব সময় হাসে, তাই এই পরিস্থিতিতে একমাত্র তাদের পক্ষেই হাসা সম্ভব।’এদিকে, সভাপতি টাইগারের নির্দেশে জোরদার করা হয়েছে জঙ্গলের নিরাপত্তাব্যবস্থা। বেশ কয়েকটি পয়েন্টে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে সৈনিক পিঁপড়া। বিভিন্ন মৌচাকে মৌমাছিরাও প্রস্তুত। গরানগাছে মৌমাছি ব্যাটালিয়ন কমান্ডার বলেন, ‘আমরা আমাদের ধারালো হুল নিয়ে প্রস্তুত। কেউ বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাজ করতে বনে ঢুকলেই আমরা ঝাঁকে ঝাঁকে তাদের ওপর হামলা করব।’মৌমাছির কামড় থেকে বাঁচার জন্য কেউ খালের পানিতে লাফ দিতে পারে—এই ভেবে খালের পানিতে দিন-রাত অবস্থান করছে কিছু শক্তিশালী কুমির। ঘোলা পানিতে ডুবে থাকা এক কুমির এ প্রসঙ্গে অনেক কিছু বললেও বুদ্বুদ ছাড়া আর কিছু বোঝা যায়নি।গ্রাফিকস সফটওয়্যার নির্মাতাপ্রতিষ্ঠান অ্যাডোবির নিবন্ধিত তিন কোটি ৮০ লাখ গ্রাহকের তথ্য বেদখল হয়েছে। সম্প্রতি নিজেদের তথ্য বেদখল হওয়ার এ খবর জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। হ্যাকাররা অ্যাডোবির ডেটাবেইসে থাকা সক্রিয় গ্রাহকদের ইউজার নেম ও পাসওয়ার্ড চুরি করে ফেলেছে। সক্রিয় এ গ্রাহকদের পাশাপাশি দীর্ঘ সময় ধরে নিষ্ক্রিয় এমন অনেক গ্রাহকেরও তথ্য বেদখল হয়ে গেছে। এতে নিবন্ধিত গ্রাহকদের ব্যক্তিগত ক্রেডিট কার্ডের গোপনীয় তথ্য প্রকাশিত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। শুধু গ্রাহকদের তথ্যই নয়, অ্যাডোবির তৈরি ছবি তোলার জনপ্রিয় সফটওয়্যার ফটোশপের সোর্স কোডও চুরি হয়েছে বলে জানিয়েছেন অ্যাডোবির কর্মকর্তারা। ফটোশপ ছাড়া পিডিএফ করার সফটওয়্যার অ্যাক্রোবেড পিডিএফ, ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন ক্রিয়েশনের কোল্ডফুশন সফটওয়্যারের সোর্স কোডও বেদখল হয়েছে। এত বড় বিপর্যয়ে এবারই প্রথম পড়েছে অ্যাডোবি।অ্যাডোবির একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, ‘আমরা গ্রাহকদের বেদখল হওয়া তথ্য উদ্ধারের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ পর্যায়ের কাজ করে যাচ্ছি।’ তবে তিন কোটি নয় মাত্র ২৯ লাখ গ্রাহকের তথ্য চুরি হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। এ ছাড়া হ্যাকাররা খুব বেশি তথ্য চুরি করতে পারেনি বলেও দাবি তাঁর। সব মিলিয়ে বর্তমানে অ্যাডোবির নিবন্ধিত গ্রাহকসংখ্যা তিন কোটি ৫১ লাখ। অ্যাডোবির দাবি, শুধু নিবন্ধিত গ্রাহকদের ইউজার নেম এবং পাসওয়ার্ডই বেদখল হয়েছে বাকি আর গোপনীয় বাকি সব তথ্যই নিরাপদে আছে। এসব তথ্য উদ্ধারে অ্যাডোবি কাজ করছে, তবে নিরাপদ থাকার স্বার্থে যত দ্রুত সম্ভব নিবন্ধিত ব্যবহারকারী বিভিন্ন পাসওয়ার্ড পরিবর্তনের পরামর্শ দিয়েছেন নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা।—বিবিসি অবলম্বনে কাজী আলমগ্রীষ্মের তাপদাহ ও শরতের শুভ্রতাকে বিদায় দিয়ে ফ্রান্সের প্রকৃতিতে এসেছে শীত। বৃক্ষরাজির বেশিরভাগ বৃক্ষের পাতা ঝরে পড়েছে। পাতাহীন কান্ডবিশিষ্ট গাছের অসাধারণ শৈল্পিক রূপের পাশাপাশি অনেক বৃক্ষ যৌবনের সবুজ রঙ বদলে ধারণ করেছে হলুদ বর্ণের পত্রযুক্ত রূপ। সৌন্দর্যবর্ধক লতাবিশিষ্ট গুল্ম, ক্যাকটাস ও পুষ্প ফোটানো গাছগাছালি বসন্ত ও শরতের প্রকৃতিকে সুষমায়িত ও ফুল ফোটানোর মহান দায়িত্ব পালন করে ক্লান্ত দেহকে অবসর দিয়েছে। এখন অপেক্ষা শুধু তুষারের আবরণে শেষ সমাধির।জড়োসড়ো প্রকৃতিতে পাখপাখালির কলকাকলি প্রায় থেমে এসেছে। বাহারি রঙ ও ডিজাইনের টি শার্ট, জিন্স ও শর্ট পোশাকের পরিবর্তে সবার শরীরে উঞ্চতাবর্ধক শীতের পোশাক। মেঘযুক্ত আকাশ, ঝিরিঝিরি বৃষ্টিধারা এখন জীবনধারার প্রাত্যাহিক অংশ। সূর্য মাঝে মাঝে মেঘ ভেদ করে তার অস্তিত্বকে জানান দিয়ে লুকোচুরি খেলায় মগ্ন। এমন প্রকৃতিতে একচিলতে রোদ যেন সদ্য যৌবনা ষোড়শী কন্যার মুখ দর্শন। পর্যটকের দল প্যারিসের যে সব পথঘাট, রেস্তোরাঁ কোলাহলমুখর করে রেখেছিল তা নিঝুম নিস্তব্ধতায় রূপান্তর করে সবাই আপন নিড়ে ফিরে গেছে।গোটা ইউরোপ জুড়ে এখন থেকেই প্রস্তুতি চলছে খ্রীষ্টধর্মীয় সবচেয়ে বড় উৎসব ক্রিসমাস ডে পালনের। ফ্রান্সও তার ব্যতিক্রম নয়। এখানে এই উৎসবকে স্থানীয় ভাষায় বলা হয় নোয়েল। শীতের সমস্ত রিক্ততা ও সিক্ততাকে আনন্দে রূপান্তরের ক্ষেত্রে নোয়েল তুলনাহীন। দিনটি একটি বিশেষ ধর্মীয় গোষ্ঠীর উৎসব হলেও এখানে ধর্মবর্ণ নির্বিশেষে সবাই এই উৎসবের আনন্দে নিজেকে রাঙ্গাতে কার্পণ্যতা করে না। এখন থেকেই সুপার মার্কেট ও বিশেষায়িত দোকানগুলো নয়েল টুপি, চকলেট, কেক ও নানাবিধ উপহার সামগ্রীর পসরা সাজিয়ে বসেছে। অনেক উৎপাদক প্রতিষ্ঠান তাদের নিজ পণ্য সামগ্রীর ওপর বিশেষ ছাড় দিয়েছে। ডিসেম্বরের শুরু থেকেই ফ্রান্সের সকল শহরগুলো জেগে উঠবে চোখ ধাঁধানো আলোকসজ্জায়। ফুলের দোকানগুলোতে লেগে যাবে ক্রিসমাসট্রি বিক্রির ধুম। প্রত্যেক ফরাসি উপহার বিনিময় করবে প্রিয় মানুষ, বন্ধু ও আত্মীয়স্বজনের মধ্যে। শীতের তীব্রতা অনেকটাই ম্লান হয়ে যাবে এই উৎসব আনন্দের কাছে। তুষারের সাদায় রূপ নেবে এক ভিন্ন প্রকৃতি।শীতের এই তীব্রতায় থেমে থাকে না ফরাসি জীবন ও জীবিকা। ভোরের আলো ফোটার আগেই কর্মব্যস্ত মানুষের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে মেট্রো-ট্রাম-বাসস্টেশন এবং রাস্তাঘাট ও শপিংমল। চারদিকে থাকে স্বাভাবিক জীবনধারা। মানুষ প্রতীক্ষায় থাকে। শীতের জীর্ণ প্রকৃতিকে বিদায় দিয়ে জীবনধারায় লাগুক আবার বসন্ত বাতাস।মুহাম্মদ গোলাম মোর্শেদপ্যারিস, ফ্রান্সছোট্ট শিশুটির ত্বক বা স্বাস্থ্যের যত্ন তো নিচ্ছেনই। তার চোখ দুটো ভালো আছে তো? ছোটবেলার চোখের নানা সমস্যার প্রভাব বড় হওয়ার পরও রয়ে যেতে পারে। পড়াশোনায়ও সমস্যা হতে পারে।বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় চক্ষুবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক শারফুদ্দিন আহমেদ জানান, পাঁচ বছরের মধ্যেই শিশুর চোখ পরীক্ষা করানো দরকার। স্কুলে ভর্তির আগেই এটি করানো ভালো।জন্মের কয়েক মাসের মধ্যে শিশু ঠিকমতো দেখতে পায় কি না, তা লক্ষ করা উচিত মা-বাবার। কীভাবে বুঝবেন শিশুর দেখতে সমস্যা হচ্ছে, তা জানিয়েছেন তিনি। সাধারণত ২০ ফুট দূর থেকে টেলিভিশন দেখা উচিত। চোখে সমস্যা হলে শিশু পাঁচ ফুটের কম দূরত্ব থেকে দেখতে চায়। ঘন ঘন মাথা ব্যথা করা। চোখ দিয়ে পানি পড়া। বই খুব কাছে নিয়ে পড়া। স্বাভাবিকভাবে এক থেকে দেড় ফুট দূরত্ব থেকে পড়বে। হাত দিয়ে একটা চোখ ঢেকে আরেকটা চোখ পরীক্ষা করা, সে ঠিকভাবে দেখছে কি না। তিন মাসের শিশু আলোর দিকে তাকায়। আলোর দিকে তাকালে চোখের পাতার নড়াচড়া দেখে এক থেকে দেড় মাসের বাচ্চার দৃষ্টি সম্পর্কে ধারণা করা যায়। মুখের অবয়ব পরির্বতন হয় এবং একজনের চোখে চোখ রাখে। এক চোখ অন্য চোখের থেকে সরে যাওয়া, চোখ কাঁপা, উজ্জ্বল কোনো কিছুর দিকে না তাকানো এবং চোখ স্বাভাবিকের তুলনায় বড় হলে চক্ষু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত।শিশুর চোখ কীভাবে ভালো রাখা যায় শিশুদের চোখ সব সময় পরিষ্কার রাখতে হবে। মায়েদের গর্ভাবস্থায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘এ’-যুক্ত খাবার খেতে হবে। শিশুদের টিকার মাধ্যমে নিয়ম অনুযায়ী ভিটামিন ‘এ’ দিতে হবে। সবুজ শাকসবজি খাওয়ানোর অভ্যাস করতে হবে। ফলমূল খেতে হবে। ডায়রিয়া হলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসা করাতে হবে। জিংক ও ভিটামিন ‘এ’ খাওয়াতে হবে।
বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের মাধ্যমে সুন্দরবনের ক্ষতি সহ্য করা হবে না বলে হুংকার দিয়েছেন সুন্দরবনের সভাপতি রয়েল বেঙ্গল টাইগার। গতকাল হিরণ পয়েন্টে অনুষ্ঠিত বিশাল পশুসভায় এ হুংকার দেন তিনি। পশুসভায় সর্বস্তরের পশুপাখি সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে সুন্দরবনে বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের প্রতিবাদে মুখর হয়ে ওঠে।সমাবেশের শুরুতেই বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের প্রতিবাদে এক মিনিট সম্মিলিত চিৎকার কর্মসূচি পালন করা হয়। এ সময় বিভিন্ন পশুপাখির সম্মিলিত চিৎকারে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে পুরো সমাবেশস্থল। তবে চিৎকার কর্মসূচির আধঘণ্টা পর আচমকা চিৎকার করে ওঠে গন্ডার সম্প্রদায়। এতে সাময়িকভাবে সমাবেশ বাধাগ্রস্ত হয়। এরপর বিভিন্ন পশুপাখি নেতাদের বক্তৃতার পর মঞ্চে আসেন সভাপতি টাইগার। তিনি অবিলম্বে বিদ্যুৎকেন্দ্র আমাজন বা অন্য কোথাও স্থাপন করার জোর দাবি জানান। টাইগার বলেন, ‘শুধু বিদ্যুৎকেন্দ্র কেন, কোনো ধরনের কেন্দ্রই সুন্দরবনে হতে দেওয়া যায় না। আরও অনেক বন আছে, সেখানে কেন্দ্রফেন্দ্র যা ইচ্ছা করুন। হালুম!’ তিনি বনের ৫০০ বাঘ, ৩০ হাজার হরিণ এবং অন্য পশুপাখিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান। সবাইকে চোখ-কান খোলা রেখে সতর্ক থাকতেও বলেন। সাপের যেহেতু কান নেই, তাই তাদের জিব খুলে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান সভাপতি।নগর থেকে চুরি করা সিএনজিচালিত অটোরিকশা বিক্রি করা হয় গ্রামে, আর গ্রাম থেকে চুরি করা অটোরিকশা চলে আসে নগরে। অনেক ক্ষেত্রে গাড়ির মালিককে ফোন করে ৫০ থেকে এক লাখ টাকার বিনিময়ে দফারফা করা হয়। এ টাকা নেওয়া হয় বি-ক্যাশের মাধ্যমে। আবার টাকা নিয়ে গাড়ি ফেরত না দেওয়ার নজিরও আছে। গ্রেপ্তার হওয়া অটোরিকশা চোরচক্রের তিন সদস্য প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে এসব তথ্য দেন। তবে তাঁদের দলনেতা হায়দারকে এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।তিন চোরের উদ্ধৃতি দিয়ে নগর গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) সন্তোষ চাকমা প্রথম আলোকে জানান, চোরচক্রের সদস্যরা গাড়ি চালানোয় পারদর্শী। তাঁরা কখনো নগরে, কখনো গ্রামে কৌশলে নিজেদের বেকার যুবক দাবি করে গাড়ি চালানোর চাকরি নেন। বিশেষ করে কোনো চালকের বদলি হিসেবে তাঁরা গাড়ি চালান। পরে সুযোগ বুঝে গাড়িটি নিয়ে গা-ঢাকা দেন। চুরি করা গাড়িগুলো নগর ও জেলার কয়েকটি গ্যারেজে রাখা হয়। ওই সময় গাড়ির রং পাল্টানো হয়। কখনো যন্ত্রাংশ খুলে অন্য গাড়িতে লাগানো হয়। চোরের দল একটি নম্বরে একাধিক গাড়ি রাস্তায় নামায়। চুরি করা গাড়ির নম্বর পাল্টিয়ে ফেলে। পুলিশ ধরলেও টাকা দিয়ে ছাড়া পেয়ে যায়। এ ছাড়া তারা কিছুদিন নগরে, কিছুদিন গ্রামে অবস্থান করে। ফলে পুলিশ সহজে শনাক্ত করতে পারে না।তিন চোর পুলিশের কাছে আরও স্বীকার করেন, বদলি চালকের আসনে বসা ছাড়াও রাস্তায় ও স্টেশনে চালক ছাড়া দাঁড়িয়ে থাকা গাড়িও মুহূর্তের মধ্যে তাঁরা চুরি করে নিয়ে যান। তাঁদের কাছে কিছু বিশেষ চাবি রয়েছে। যা দিয়ে সহজে গাড়ি চালু করা যায়।উপপরিদর্শক সন্তোষ জানান, ২৩ অক্টোবর গভীর রাতে নগরের বাকলিয়া রাহাত্তারপুল এলাকা থেকে তিন চোরকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁরা হলেন জাবেদ, মিজান ও দিদার। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে একটি চোরাই অটোরিকশা উদ্ধার করে পুলিশ। ১২ দিন আগে তাঁরা সিএনজি অটোরিকশাটি জেলার রাঙ্গুনিয়ার শিলক থেকে চুরি করেছিলেন। এ ঘটনায় চার চোরকে আসামি করে বাকলিয়া থানায় মামলা হয়েছে। পলাতক চোরচক্রের দলনেতা হায়দারকে গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।সময়ের তারকা: গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়েছেন টেনিস খেলেই। এবারে প্রথম নারী হিসেবে জোবেরা রহমান লিনু নিলেন বাংলাদেশ টেবিল টেনিস ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বযে তিনটি জিনিস সব সময় সঙ্গে রাখিটাকা, কাজল ও মুঠোফোন।প্রথম খেলার প্রতিপক্ষআমার বড় বোন মুনিরা মোরশেদ হেলেন। ১৯৭৪ সালে খেলেছিলাম ওর সঙ্গে।টেবিল টেনিসে প্রিয় খেলোয়াড়উত্তর কোরিয়ার খেলোয়াড় পাক ইয়ং সু আমার প্রিয় খেলোয়াড়।গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম ওঠার পর...এ অনুভূতি অন্য রকম। ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না।প্রিয় কোচআমার বাবা শেখ আবদুর রহমান।বিদেশের মাঠে টেবিল টেনিসে প্রথম দিন১৯৭৬ সালে উত্তর কোরিয়ার একটা মাঠে খেলেছিলাম। দিন-তারিখটা এখন আর মনে নেই।খেলোয়াড় হিসেবে আনন্দের দিন১৯৭৭ সালে যখন প্রথম জাতীয় চ্যাম্পিয়ন হই। দিনটির কথা কোনো দিনই ভুলব না।টেবিল টেনিস খেলোয়াড়ের যে তিনটি গুণ জরুরিধৈর্যশীলতা, বুদ্ধিমত্তা ও দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা।টেবিল টেনিস ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নতুন দায়িত্ব নেওয়ার পরআমি আসলে খুব কঠিন সময়ে দায়িত্ব নিয়েছি। এই সময় খেলোয়াড় ও কর্মকর্তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে। শুরুতে এসব দ্বন্দ্ব দূর করতে চাই। তারপর বছরে কমপক্ষে পাঁচটি ইভেন্ট করতে চাই।টেবিল টেনিস ছাড়া আর যে কাজে পারদর্শীসবাই বলে, আমি বন্ধু হিসেবে অনেক ভালো। বন্ধুত্ব রক্ষা করার কাজে মনে হয় আমি বেশ পারদর্শী। (হা হা হা)নিজের সম্পর্কে অজানা তথ্যআমি এখনো বিয়ে করিনি।নিজের খারাপ দিকআমি সহজে রাগ করি না। কিন্তু রাগলে সেটা খুব খারাপ হয়ে যায়।তারুণ্য ধরে রাখার রহস্যএটা বলা কঠিন! আমি মনে করি, এটা অবশ্যই সৃষ্টিকর্তার দান। আর আমি সব সময় পরিপাটি থাকি এবং নিয়ম মেনে চলি।যার জন্য জীবন বাজি রাখতে পারিআমার ছেলে (আসলে ভাইয়ের ছেলে) ইয়াদ আলাভির জন্য।আমার জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছেগিনেস রেকর্ডসে নাম ওঠার ঘটনা।নিজের যে দিকটি বদলাতে চাইআমি জীবনে অনেক বিষয়ে সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারিনি। এই সিদ্ধান্তহীনতার ব্যাপারটি বদলাতে চাই।মন খারাপ হলেবারান্দায় দাঁড়িয়ে লোকজনের চলাফেরা দেখি, খাওয়াদাওয়া করি এবং কেনাকাটা করতে বের হই।অবসরেটিভি দেখি এবং পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আড্ডা মারি।সামনে যা করব ভাবছিখেলার জীবন নামে একটা বই প্রকাশ করব, নাটক লেখায় আরও মন দেব এবং সারা পৃথিবী ঘুরে বেড়াব।সাক্ষাৎকার: মো. রুবেলচুলে তেল দেব। ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাখব। এরপর শ্যাম্পু! এত সময় কোথায় এখন? কথাটি কিছুটা সত্যিও বটে।তাড়াহুড়োর জীবনে দাদি-নানিদের মতো আয়েশ করে তেল দেওয়ার সময় এখন আর নেই। তার পরও শীতকাল বলে কথা। চুল রক্ষা করতে চাইলে তেল লাগাতেই হবে। সপ্তাহে কত দিন, কীভাবে লাগাবেন, সেটা জানাতেই এই লেখা।চুল অনেকটা ত্বকের মতোই। ত্বক শুষ্ক হলে চুলও শুষ্ক হয়। ত্বক তৈলাক্ত হলে চুলে তার প্রভাব পড়ে। তবে শুষ্ক ত্বকের অধিকারীদের চুল তুলনামূলক চিকন হয়ে থাকে তৈলাক্ত ত্বকের অধিকারীদের চেয়ে। চুল যেমনই হোক, শীতকালে সপ্তাহে অন্তত দুই থেকে তিনবার তেল লাগাতে হবে চুলে। না হলে খুশকি বেড়ে যাওয়া, চুল পড়ে যাওয়ার মতো বিপত্তি ঘটতে থাকবে। এমনটাই জানালেন আয়ুর্বেদিক রূপবিশেষজ্ঞ রাহিমা সুলতানা।একটি ঘণ্টা। গোসলের আগে এটুকু সময় মাথায় তেল রাখতে পারলেই হবে। তবে মাথায় শুধু তেল লাগালেই হবে না। মাসাজও করতে হবে। এতে করে রক্তসঞ্চালন বৃদ্ধি পায়। মোটা দাঁতের চিরুনি দিয়ে আঁচড়ালেও লাভ পাবেন। মোটা তোয়ালে গরম পানিতে চুবিয়ে নিংড়ে নিন। এরপর তেল লাগানো চুলে পেঁচিয়ে রাখুন কিছুক্ষণ। গরম ভাপ লোমকূপগুলো খুলে দিতে সাহায্য করে। এতে ভেতরের ময়লা বের হয়ে আসে এবং তেলের পুষ্টিগুণ ভেতরে যেতে পারে। এ ছাড়া শ্যাম্পু করার আগে চুলে তেল লাগালে ফল ভালো হয়। কারণ, তখন মাথার ত্বকের ভেতর থেকে ময়লা উঠে আসে।রাহিমা সুলতানা বলেন, ‘শুষ্ক চুলের অধিকারীদের সপ্তাহে তিন থেকে চার দিন তেল দেওয়া ভাল। তেলের সঙ্গে মেথি মিশিয়ে নিতে পারেন। মেথি চুলের শুষ্কতা কমিয়ে আনে। শুষ্ক চুলে শ্যাম্পু ব্যবহারের পর কন্ডিশনার ব্যবহার বাধ্যতামূলক।’তৈলাক্ত চুলে খুশকি বেড়ে গেলে তেলের সঙ্গে লেবু মিশিয়ে লাগাতে পারেন। চার টেবিল চামচ তেল নিলে এক টেবিল চামচ লেবুর রস মেশাতে হবে। তেলটা একটু গরম করে নিতে পারেন। চুল পড়া কমাতে তেলের সঙ্গে আমলকীর রস মেশান। এগুলো করার পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন।
চূড়ান্ত হয়েছে ২০১২ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। জুরিবোর্ডের একাধিক সূত্র থেকে জানা গেছে, বিচারকমণ্ডলীদের সুপারিশ অনুযায়ী ২০১২ সালে সেরা ছবির পুরস্কার পাচ্ছে উত্তরের সুর, পরিচালক হুমায়ূন আহমেদ (ঘেটুপুত্র কমলা), অভিনেতা শাকিব খান (খোদার পরে মা), অভিনেত্রী জয়া আহসান (চোরাবালি), পার্শ্ব-অভিনেতা রাজ্জাক (ভালোবাসার রং), পার্শ্ব-অভিনেত্রী লুসি তৃপ্তি গোমেজ (উত্তরের সুর), খলনায়ক শহীদুজ্জামান সেলিম (চোরাবালি), কাহিনিকার হুমায়ূন আহমেদ (ঘেটুপুত্র কমলা), চিত্রনাট্যকার হুমায়ূন আহমেদ (ঘেটুপুত্র কমলা), সংলাপ রচয়িতা রেদওয়ান রনি (চোরাবালি), শিশুশিল্পী মামুন (ঘেটুপুত্র কমলা), শিশুশিল্পীর বিশেষ পুরস্কার মেঘলা (উত্তরের সুর), চিত্রগ্রাহক মাহফুজুর রহমান খান (ঘেটুপুত্র কমলা), গায়ক পলাশ (খোদার পরে মা), গায়িকা রুনা লায়লা (তুমি আসবে বলে), গীতিকার মিল্টন খন্দকার (খোদার পরে মা), সুরকার ইমন সাহা (পিতা), সংগীত পরিচালক ইমন সাহা (ঘেটুপুত্র কমলা), রূপসজ্জা খলিলুর রহমান (ঘেটুপুত্র কমলা), অঙ্গসজ্জা ও পোশাক-পরিচ্ছদ এস এম মাইনুদ্দিন (ঘেটুপুত্র কমলা), সম্পাদক সলিমুল্লাহ (ঘেটুপুত্র কমলা), শব্দগ্রাহক রিপন নাগ (চোরাবালি), শিল্পনির্দেশক কলন্তর ও উত্তম গুহ (রাজা সূর্য খাঁ)। আজীবন সম্মাননা পাচ্ছেন খলিল উল্লাহ খান।তথ্য মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, জুরিবোর্ডের এই সুপারিশ আগামী সপ্তাহে জাতীয় পুরস্কারসংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে উপস্থাপন করা হবে। এই কমিটি থেকে অনুমোদন পাওয়ার পর আগামী নভেম্বর মাসে ২০১২ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে।শেষ হয়েছে তানভীর মোকাম্মেলের জীবনঢুলী ছবির শুটিং। গত মঙ্গলবার ছাড়পত্রের জন্য চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডে জমা দেওয়া হয়েছে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গল্প নিয়ে ছবিটি। সরকারি অনুদানে তৈরি এই ছবির কাহিনি গড়ে উঠেছে নিম্নবর্ণের এক ঢাকি জীবনকৃষ্ণ দাস ও তাঁর পরিবারের মুক্তিযুদ্ধ আর ওই সময়ের অভিজ্ঞতা নিয়ে। ছবিতে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে চুকনগর গণহত্যাকে।খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার আটলিয়া ইউনিয়নের চুকনগর বাজার। ১৯৭১ সালের ২০ মে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী এখানে এক নৃশংস গণহত্যা চালায়। ইতিহাসে তা ‘চুকনগর গণহত্যা’ নামে পরিচিতি।নির্মাতা সূত্রে জানা গেছে, নভেম্বর মাসের তৃতীয় সপ্তাহে জীবনঢুলী ছবির উদ্বোধনী প্রদর্শনীর আয়োজন করা হবে। ছাড়পত্র পাওয়া সাপেক্ষে একই সময় প্রেক্ষাগৃহে ছবিটি মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।ছবিতে অভিনয় করেছেন শতাব্দী ওয়াদুদ, রামেন্দু মজুমদার, ওয়াহিদা মল্লিক জলি, চিত্রলেখা গুহ, জ্যোতিকা জ্যোতি, প্রাণ, তবিবুল ইসলাম, উত্তম গুহ, পরেশ আচার্য্য প্রমুখ। চিত্রগ্রহণের কাজ করেছেন মাহফুজুর রহমান খান, শিল্পনির্দেশনায় উত্তম গুহ, সংগীত পরিচালনা করেছেন সৈয়দ সাবাব আলী আরজু আর পোশাকের দায়িত্বে ছিলেন চিত্রলেখা গুহ।পাঁচ.কফির বাগানটি ঘুরে ঘুরে অনেক জিনিসই শেখা হলো আমার। যেমন, কী করে পাখির উপদ্রব থেকে ফসল রক্ষা করে তারা, এবং কোনো রাসায়নিক দ্রব্যের ব্যবহার ছাড়াই। কোস্টারিকার পাখিসম্পদ খুবই বিখ্যাত, অন্তত ৮৯৪ প্রকারের পাখি সে দেশে। কানাডা-আমেরিকা মিলিয়ে গোটা উত্তর আমেরিকা মহাদেশে এত প্রকার পাখি নেই। এবং এদের বেশির ভাগই (আনুমানিক ৬০০) স্থায়ী, অর্থাৎ ঋতুপরিবর্তনের সঙ্গে এদের দেশান্তরি হতে হয় না খাদ্যান্বেষণের জন্য—নিজের দেশেই প্রচুর খাবার, এবং আবহাওয়া বেশ আরামপ্রদ। মুশকিল হলো কৃষকদের, পাখির অত্যাচার থেকে ফসল বাঁচানো, এবং স্বাস্থ্যকর উপায়ে। কফিচাষিরা সে কারণে একটা চালাকি আবিষ্কার করেছেন—বাগানের চারপাশে সারি সারি আমগাছ, পেঁপেগাছ, কলাগাছ ইত্যাদি লাগিয়ে রাখা হয় যাতে করে ওগুলো খেয়েই পাখিদের পেট ভরে যায়, এবং কফির প্রতি আকৃষ্ট হওয়ার প্রয়োজন বোধ করে না। প্রশ্ন তোলা যায়, তাহলে কি কফির মূল্য আম-কলা-পেঁপের চেয়ে বেশি? হ্যাঁ, বেশি, অনেকটাই বেশি। কফি হলো কোস্টারিকার প্রাণ—একসময় ওটাই ছিল ওদের বৃহত্তম ব্যবসা, ক্যাশ ক্রপ যাকে বলে। একসময় আমাদের পূর্ববঙ্গে যেমন ছিল পাট। আমাদের পাট প্রায় ধ্বংস হয়ে গেছে, কিন্তু কোস্টারিকার কফি সহজে ধ্বংস হবে না হয়তো, এটা ওদের জাতীয় সম্পদ। শুনেছি সারা দেশে মোট নয় লাখ কফির বাগান, সবই ব্যক্তিগত মালিকানাধীন।কোস্টারিকা কোনো তৃতীয় বিশ্ব নয়, সেটা আগেই বলেছি। এবং তার মূলে যে অর্থনৈতিক মদদ সে-মদদটা এসেছে কফির চাষ থেকে। কফির চাষ শুরু হয় এ দেশে উনবিংশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে। ১৮৪৩ সালে সেই কফি প্রথম রপ্তানি করা হয় ইউরোপে, এবং তখন থেকেই তাদের সুদিন শুরু। অচিরেই কফি তাদের দেশের প্রধান রপ্তানি দ্রব্যতে পরিণত হয়ে বিস্তর বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন করতে সক্ষম হয়ে ওঠে। কফির টাকা দিয়ে একটি আমেরিকান কোম্পানি সেখানে রেলরোড স্থাপন করে ১৮৯০ খ্রিষ্টাব্দে। তাতে কফির চাষ আরও বিস্তৃত হওয়ার সুযোগ পায়। বিংশ শতাব্দীর গোড়াতে কফির বদৌলতে পুরো কোস্টারিকা দেশটি উন্নতমানের রাষ্ট্র হয়ে ওঠে।তার পেছনে অবশ্য আরও কিছু কারণ ছিল, কেবল টাকা-পয়সা থাকলেই যে একটা দেশ বড় হয়ে যায় না, এমনকি একটা সভ্য দেশও হয়ে ওঠে না, তার প্রমাণ তো বর্তমান বিশ্বেই একাধিক, একেবারে চোখের সামনে। কিন্তু কোস্টারিকার কফিবাগানের মালিকেরা ছিলেন অত্যন্ত দূরদর্শী ও দেশপ্রেমিক। তাঁরা গোড়াতেই সিদ্ধান্তে পৌঁছে যান কফির ধন দিয়ে গোটা জাতিকে যদি ভবিষ্যতের জন্য গড়ে তোলা না যায়, তাহলে একদিন দেশ ও কফি দুই-ই ফুরিয়ে যাবে। কথা হলো, জাতির ভবিষ্যৎ বলতে কী বোঝায়? তাঁরা তার সঠিক উত্তর পেয়ে গেলেন নিজেদের বিদ্যা-বুদ্ধি ও অভিজ্ঞতার ভেতর দিয়ে, তার নাম শিক্ষা। এবং সাধারণ চলনসই শিক্ষা নয়, উচ্চশিক্ষা, যেমনটা শিখেছিলেন কোস্টারিকার এরিয়াস স্যাঞ্চেজ। তাঁরা দেশের জায়গায় জায়গায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুললেন এবং সেখান থেকেই উত্তীর্ণ মেধাবী ছেলেমেয়েদের বৃত্তি দিয়ে পাঠিয়ে দেন ইউরোপের বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয়ে, এভাবেই তাঁরা আস্তে আস্তে গোটা দেশে গড়ে তোলেন একটি উন্নতমানের শিক্ষিত জনগোষ্ঠী, ভবিষ্যতের নেতা ও জাতির কর্ণধার হওয়ার সম্ভাবনা যাঁদের সবচেয়ে বেশি। এ এক আশ্চর্য দেশ। দীর্ঘশ্বাস ফেলে ভাবছিলাম: শিক্ষাই যে একটা দেশের সত্যিকার সম্পদ এবং সত্যিকার ভবিষ্যৎ একমাত্র শিক্ষার দ্বারাই সম্ভব, এই সহজ সত্যটি আমাদের দেশের নেতা-নেত্রীরা কেন বুঝতে চাইছেন না? নিজেরা তেমন শিক্ষিত নন বলে?কফিবাগান থেকে বেরোবার শেষ পর্যায়ে আমরা দেখলাম শুকনো কফি কোথায় এবং কীভাবে গুঁড়ো করা হয়, কীভাবে গুণের বিচারে স্তরে স্তরে ভাগ করে ছাঁটাই করা হয়, এবং ছাঁটাই করা কফির গুঁড়ো কীভাবে সংরক্ষিত করে প্যাকেটের ভেতর ভরা হয়। একেবারে শেষের পর্যায়টি হলো খুচরো কফির দোকান, তাজা টাটকা ফ্যাক্টরিজাত কফি, যার কোনো জুড়ি নেই স্বাদের দিক থেকে। কথিত আছে যে কোস্টারিকার কফিতে একটু বেশি মাত্রার ক্যাফিন থাকে। এবং সেই ক্যাফিন দূর করার যে পদ্ধতি ও কৌশল তা অত্যন্ত ব্যয়সাপেক্ষ, অন্তত স্থানীয়ভাবে। সুতরাং কোস্টারিকার কফির ক্যাফিন ছাড়ানোর কাজটি করা হয় জার্মানিতে। তাতে নাকি খরচ অনেক কম।আমাদের টুরবাসের দ্বিতীয় গন্তব্য, রিপির বর্ণনা অনুযায়ী, একটি ‘রেইন ফরেস্ট’, যদিও সেটা মানুষের তৈরি (যেমন আমাদের কানাডার মন্ট্রিয়ল শহরে আছে একটি), নাকি প্রাকৃতিক, তা ঠিক বোঝা গেল না। আমার জানামতে প্রাকৃতিক রেইন ফরেস্টগুলো সব নিরক্ষরেখার কাছাকাছিতে, অর্থাৎ আমাজন বনের অঞ্চলে, তবে আমি পৃথিবীর কতটাই বা জানি। সেখানে পৌঁছানোর আগে বোঝা যাবে না। কিন্তু পৌঁছানোর পরও পুরোপুরি বোঝা গেল বলে মনে হয়নি। বেশ বড় আকারের একটা ঘন জঙ্গলের মতো জায়গা, এবং সেখানে বৃষ্টি হচ্ছিল ঠিকই, কিন্তু সেটাই কি রেইন ফরেস্টের লক্ষণ কি না, তাই বা আমি জানব কেমন করে। বৃষ্টি তো হরহামেশাই হচ্ছে কোস্টারিকাতে। যাই হোক, আমাদের গাইড সাহেবের কথা অনুযায়ী, এখানে বনজঙ্গল যা দেখার দেখে নিয়ে আমরা যাব নিচে, বেশ নিচুতে অবস্থিত একটি ক্যাফেটেরিয়া, যেখানে আমাদের নগদ টাকা দিয়ে লাঞ্চ কিনতে হবে না। কারণ, লাঞ্চের পয়সা টুর প্যাকের মধ্যেই ধরে নেওয়া হয়েছে। (সেই সংখ্যাটা যে কী, তা রিপিকে জিজ্ঞেস করার সাহস আমার ছিল না। অনুমান করছিলাম যে সংখ্যাটি নেহাত তুচ্ছ নয়)। বাসের সমতল থেকে বেশ নিচেই সেই ক্যাফেটেরিয়া। ঠিক আছে, নিচে না হয় নামা গেল অনায়াসেই, কিন্তু নিচে থেকে যখন ওপরে ওঠার ব্যাপার দাঁড়াবে তখন আমার উপায় হবে কী? আমার এই দুর্বল হার্ট নিয়ে তো তার সিকি ভাগও ওঠা যাবে না। সৌভাগ্যবশত টুর কর্তারা সে ব্যবস্থাটি আগে থেকেই করে রেখেছিলেন। জানা গেল, যে ওপরে ওঠার জন্যে গলফ কার্টের ব্যবস্থা থাকে, কার্যত এলিভেটারে করে ওঠার শামিল।রিপির আমার জন্য একটা প্লাস্টিকের কোট কিনে এনেছিল, যাতে বৃষ্টিতে ভিজতে না হয়। কোট গায়ে নিচে নামতেই নামতেই টের পাওয়া যাচ্ছিল যে বাইরে যেমন বৃষ্টি নামছিল তখন ঝুপঝাপ করে তেমনি ভেতরের নিরক্ষীয় প্রাণীদের কারণেও তারা হোস পাইপ দিয়ে মুষলধারে পানি বর্ষণের ব্যবস্থা করেছিল, কতগুলো পাখি আছে যারা অবিরাম বৃষ্টি না হলে আরাম বোধ করে না। তেমনি এক পাখির খাঁচায় আমাদের নিয়ে গেলেন আলবার্টো। সেখানে ক্ষুদ্রতম থেকে বৃহত্তম পাখির বাস। ক্ষুদ্রতম হলো হামিং বার্ড। একটি অসাধারণ পাখি এটি। ওজন হয়তো দু-এক আউন্সের বেশি হবে না। এরা বেশিক্ষণ উড়তে পারে না সম্মুখদিকে, কিন্তু তারা পাখা ঝাপটাতে পারে প্রতি সেকেন্ডে ৬০ বার। যার ফলে তারা সামনে এগোতে না পারলেও হেলিকপ্টারের মতো ওপর-নিচ করতে পারে অনায়াসে। এদের নিয়ে এ দেশে একটা কথা আছে এ রকম যে, এরা সময়হীন সমুদ্রে ভেসে বেড়ায় আপন প্রাণের তাড়নাতে, আমাদের সব গোপন আশা, আকাঙ্ক্ষা ও ইচ্ছা আনন্দের প্রতীক হয়ে। আমরা যা হতেই চাই কিন্তু হতে পারব না কখনোই, হামিং বার্ড যেন সেই কামনাগুলোকেই পৌঁছে দেয় ঊর্ধ্বলোকের কোনো মৌন দেবতার কাছে। আমাদের রিপি মেয়েটি এই হামিং বার্ড পাখিটির দারুণ ভক্ত, জানি না কোন মৌন দেবতার সন্ধানে।এর কাছেই দেখা গেল টুকান নামক আরেকটি বেশ বড়সড় পাখি—ঠোঁট লম্বা, গায়ের রং একরকম, ঠোঁটের অন্য রকম। খুব মনুষ্যসঙ্গ পছন্দ করে বলেই মনে হলো। রিপি ও আমি দুজনই ছবি নিলাম টুকানকে হাতের ওপর বসিয়ে। অনতিদূরে সবচেয়ে বড় পাখির বাসা, তাকে বলা হয় ম্যাকাউ। তার ঠোঁট বিশাল বড় কিছু নয় টুকানের মতো, কিন্তু শরীরখানা বিপুল তাতে সন্দেহ নেই। ভীষণ কর্কশ তার গলার শব্দ, ম্যাকাউ পাখির গান শোনার জন্য সংসারে কোনো প্রেমিক কখনো আকুল হওয়ার কারণ নেই। দেখতে দারুণ, মনে হয় ভীষণ সাজগোজ করে বেরিয়েছেন মহারানি, কিন্তু কানের কাছে একবার কা-কা শব্দ করলেই কান দুটির বারোটা বেজেছে।ম্যাকাউদের সংলগ্ন ছোট আরেকটি খাঁচা, যেখানে হরেকরকম প্রজাপতির বাস। পাখি আর প্রজাপতি, উভয়ের প্রতি রিপির দারুণ দুর্বলতা। দেখামাত্র তার ক্যামেরা সারাক্ষণ ক্লিক করতে শুরু করে, বাচ্চাদের মতো উত্তেজিত হয়ে যায়। ‘বিউটিফুল’ শব্দটি এমন মিষ্টি করে ওর মুখ দিয়ে বেরোয় যে মনে হয় একটা নতুন গানেরই কলি—বিউউউউউউটি-ফুল। ওই ‘উ’টি যেন তরঙ্গায়িত হয়ে হয়ে অন্তরীক্ষের নিঃসীমিতায় পৌঁছে যায়। বড় ভালো লাগে শব্দটি শুনতে ওর মুখ থেকে।পাখির খাঁচা থেকে বেরিয়ে আমরা এলামা প্রজাপতির ঘরে। পৃথিবীতে কত প্রকারের প্রজাপতি আছে জানি না। সম্ভবত কয়েক লাখ। কোস্টারিকার এ জায়গাটিতে যে বড় রকমের কোনো প্রদর্শনী নেই সেটা বোঝা যাচ্ছিল, এত ক্ষুদ্র পরিসরে কতই বা ঠাঁই দেওয়া যায়। তবুও প্রজাপতি তো নিজের ভুবনেই রঙের নৃপতি—শিল্পীর তুলিতে আঁকা এক নিখুঁত সৌসাম্য। প্রজাপতির বাসায় গেলে বোঝা যায় ওরা কীভাবে জীবন যাপন করে, কী খেতে ভালোবাসে, কী সব খেলা খেলে নিজেদের মধ্যে। আগন্তুক এলেই বা তারা কীভাবে আপ্যায়ন করে তাদের। রিপি আর আমাকে পেয়ে ওরা বেশ মজাই পাচ্ছিল বলে মনে হলো। আমাদের হাতের ওপর, আমাদের ঘাড়ে-পিঠে, নাকের ডগাতে, পরম আনন্দে সওয়ার হতে লাগল। আমরা হলাম তাদের নতুন খেলার সঙ্গী। সংসারে বোধ হয় সব জীবজন্তুই খেলতে ভালোবাসে, কারণ তারা জানে জীবন কত ভঙ্গুর, কত ক্ষণস্থায়ী। কেবল মানুষই তা ভুলে যায় জীবনের একটা সময়। খেলার স্থান দখল করে নেয় বেঁচে থাকার কাতরতা আর আকুতিভরা প্রার্থনা।প্রজাপতির বাসায় বেশিক্ষণ থাকিনি আমরা, থাকার মতো বৈচিত্র্যও ছিল না। তা ছাড়া ক্ষিধে পেয়ে গিয়েছিল বেশ। আলবার্টোর পিছু ধরে আমরা প্রবেশ করলাম যে-যত-খেতে-পারে রকমের স্বেচ্ছাসেবী ক্যাফেটেরিয়াতে। পেটের ক্ষুধার চেয়ে চোখের ক্ষুধাটাই বেড়ে যায় তখন প্লেটের ওপর খাবারের স্তূপ নিলেও মনে হয় সব খেতে পারব। তারপর দেখা যায় সিকি ভাগও খাওয়া যাচ্ছে না। প্রকৃতি আর প্রবৃত্তির মদ্যে এই যে চিরদ্বন্দ্বটি আমাদের, খাওয়ার টেবিলে বা বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে আড্ডায় বসে, সেটা নিয়ে ভাবতে বেশ মজা পাই আমি। খাওয়াদাওয়া শেষ করে আমাদের টুরবাসের বড় শাখাটি চলে গেল কাছাকাছি একটা রেপটাইল আবাস দেখতে। আমরা দুজন থেকে গেলাম, প্রধানত আমার অনিচ্ছার কারণেই—বড় বড় সাপ, বিষাক্ত সাপ, এগুলোর প্রতি কেন জানি কোনোদিনই তেমন আকর্ষণ ছিল না আমার। গা কাঁটা দিয়ে উঠত ছোটবেলায়, মজার ব্যাপার যে এখনো দেয়। আলবার্টোর সঙ্গে চুক্তি হলো যে আমরা যেখানেই থাকি এক ঘণ্টা পর ওপরতলার একটা গিফট স্টোরের ভেতর গিয়ে অপেক্ষা করব। বাস আসবে আমাদের সবাইকে নিয়ে আমাদের শেষ গন্তব্য, পোয়াস আগ্নেয়গিরির একেবারে শেষ মাথা, সেখানে নিয়ে যেতে। আগ্নেয়গিরি আমি আগে দেখিনি কখনো, দেখার সুযোগই হয়নি, সুতরাং এই সুযোগটি কিছুতেই হাতছাড়া করা যাবে না।গিফট স্টোরে প্রচণ্ড ভিড়। শখের ক্রেতাদের লম্বা লাইন আর নিষ্প্রয়োজন কেনাকাটা, দুটোই এখন আমার রুচি স্পৃহা থেকে বিতাড়িত, বহির্ভূত। আমি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে মানুষ দেখছি। তাদের ছোট মূঢ়তাগুলো, ছোট অতৃপ্তিগুলো, বড় বড় মোড়কের ভেতর ভরে নিয়ে হূষ্টচিত্তে ঘরে ফেরার ছবি দেখছি তাদের মুখমণ্ডলে। আমি এক বহিরাগত পথিক, পথই আমার ঠিকানা, মানুষের মুখে আমি নিজের ক্ষুদ্রতাগুলো, অপূর্ণতাগুলো তন্ন তন্ন করে খুঁজি দূর থেকে দাঁড়িয়ে। বাইরে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি, নীরব কান্নার মতো, চৈত্র মাসের তৃষ্ণার্ত মাটি যেমন করে কাঁদে। সেখানে এক-দুজন ছেলেমেয়ে সিগারেট ফুঁকছে। (ক্রমশ:)মীজান রহমান, গণিতবিদঅটোয়া, কানাডারোববার রাতে হঠাৎ সুচিত্রা সেনের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। তীব্র শ্বাসকষ্ট হওয়ার পাশাপাশি তাঁর হূৎস্পন্দন অস্বাভাবিক হারে ওঠানামা শুরু করে। হূৎস্পন্দন স্বাভাবিক করার জন্য তাঁকে জীবন রক্ষাকারী ওষুধ দেওয়া হয়। পরিস্থিতি ক্রমেই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় রাত ১০টা নাগাদ তাঁকে বেলভিউ হাসপাতালের আইসিইউতে (নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র) স্থানান্তর করা হয়। তাঁকে সিসিইউতেও (করোনারি কেয়ার ইউনিট) রাখা হয়। এর আগে এই হাসপাতালের কেবিনে ভর্তি ছিলেন তিনি।সুচিত্রা সেনের চিকিৎসক সুব্রত মৈত্র রাতেই সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘সুচিত্রা সেনের এই বয়সে (৮২) ফুসফুসে সংক্রমণের পাশাপাশি হূৎস্পন্দন অস্বাভাবিক হারে ওঠানামা করা এবং ব্লাড সুগার বেড়ে যাওয়ায় তাঁর শারীরিক অবস্থা জটিল হয়েছে। তাঁর শ্বাস-প্রশ্বাস বেড়ে যাওয়ার সমস্যা আগেও হয়েছে। আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছি।’রোববার সন্ধ্যায় সুচিত্রা সেনের চিকিৎসকদলের আরেকজন সদস্য সমরজিৎ নস্কর সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, সুচিত্রা সেনের অবস্থা আগের চেয়ে অনেকটা স্থিতিশীল। স্বাভাবিক খাবার খাচ্ছেন। বিকেলে চা খেয়েছেন। কথা বলছেন।এদিকে গতকাল সোমবার দুপুরে মুঠোফোন বার্তার মাধ্যমে সুচিত্রা সেনের নাতনি রাইমা সেন প্রথম আলোকে জানান, ‘চিন্তার কিছু নেই। সুচিত্রা সেনের অবস্থা এখন অনেকটাই স্থিতিশীল। তিনি ঘুমাচ্ছেন।’
আলোকিত সুন্দরবন: সুন্দরবনে বিশাল বিদ্যুৎকেন্দ্র হতে চলেছে। বনের সভাপতি হিসেবে আপনার অনুভূতি কী?টাইগার: আমি ক্ষুুব্ধ। আমি কোনোভাবেই সুন্দরবনে বিদ্যুৎকেন্দ্র বসানো সমর্থন করতে পারছি না। বন কেটে বিদ্যুৎকেন্দ্রের কোনো প্রয়োজনীয়তা আমি দেখি না।আসু: কিন্তু কেন? বিদ্যুৎকেন্দ্র হলে আপনার সমস্যা কী?টাইগার: দেখেন, এমনিতেই আমাদের বিচরণক্ষেত্র কমে গেছে। আপনি জানেন, একটা বাঘ তার নির্দিষ্ট এলাকায় একাই বিচরণ করে। সঙ্গে থাকে একাধিক বাঘিনী। এখন, সুন্দরবন ছোট হয়ে গেলে, বাঘের বিচরণ এলাকাও কমে আসবে। তখন কি একাধিক বাঘিনী নিয়ে বিশাল এলাকায় থাকা সম্ভব? তা ছাড়া, বনে অনেক নিশাচর প্রাণী আছে, যারা দিনে ঘুমায়। বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রচণ্ড শব্দে তাদের ঘুমের ব্যাঘাত ঘটবে।আসু: কিন্তু দেশে তো বিদ্যুতেরও দরকার আছে। এখনো অনেক গ্রামে বিদ্যুৎ নেই। এ বিষয়ে কী বলবেন?টাইগার: অনেক গ্রামে তো বাঘও নেই। তাতে কি গ্রামগুলো ধ্বংস হয়ে গেছে?আসু: কিন্তু বিদ্যুৎ ছাড়া তো উন্নয়ন সম্ভব নয়।টাইগার: ভুল কথা। উন্নয়নের জন্য প্রথমে দরকার সদিচ্ছা। সততা, দেশপ্রেম। দেশপ্রেম থাকলে তো আমাদের ওপর এমন অত্যাচার কেউ মেনে নিত না। তাই, বিদ্যুৎ থাকলেই যে উন্নয়ন হবে, এমন কথা বলা যায় না। বরং আরও ক্ষতিই হবে।আসু: কী ক্ষতি?টাইগার: মানুষ প্রকৃতির কথা ভুলে যাবে। দিনরাত টিভি-ইন্টারনেট নিয়ে ব্যস্ত থাকবে। হিন্দি সিরিয়াল দেখবে। এগুলো ক্ষতি না? মাঝে মাঝে আমাদের দু-একজন নবীন বাঘ ভুলে লোকালয়ে চলে যায়। তাদের কাছ থেকেই এসব তথ্য পাই।সম্পাদক: চিত্রা হরিণ, ম্যানগ্রোভ লিমিটেডের পক্ষে প্রকাশক নোনা পানির কুমির কর্তৃক শরণখোলা এলাকা থেকে প্রকাশিত।নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা দেশ ও জনগণের স্বার্থে যেকোনো আইন পাস করতে পারেন। তবে সেই আইন নির্বাচনসংক্রান্ত হলে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অবশ্যই মতামত নেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। কেননা, যে নির্বাচিত প্রতিনিধিরা দেশ ও জনগণের স্বার্থে আইন প্রণয়ন করবেন, তাঁদের নির্বাচন-প্রক্রিয়ায় যাতে কোনো গলদ না থাকে, সেটি দেখা ইসির সাংবিধানিক দায়িত্বের মধ্যেই পড়ে। সেই বিবেচনায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিব উদ্দীন আহমেদ জনপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) সংশোধনী সম্পর্কে যে মন্তব্য করেছেন, তা গ্রহণযোগ্য নয়। দ্বিতীয়ত, বিরোধী দলের অনুপস্থিতিতে সরকারি দল যে সংশোধনী পাস করিয়ে নিয়েছে, তাতে ফুটবল খেলোয়াড়দের মতো রাজনীতিকদের জার্সি বদলের প্রবণতা বাড়বে। এ ব্যাপারেও কমিশন নীরব থাকতে পারে না। সংবিধান অনুযায়ী, ২৭ অক্টোবরের পর জনপ্রশাসনের ওপর নির্বাচন কমিশনের পূর্ণ কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার কথা। কিন্তু সেই কর্তৃত্ব গ্রহণে অনীহা সম্পর্কে প্রতিষ্ঠানটির ভূমিকাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।রাজনৈতিক অঙ্গনে যেখানে প্রবল বিভক্তি রয়েছে, সেখানে কমিশনের উচিত ছিল সেই বিভক্তি থেকে নিজেকে সযত্নে দূরে রাখা। কিন্তু তারা সেটি করতে সফল হয়েছে, সে কথা জোর দিয়ে বলা যাবে না। বিরোধী দলের অভিযোগ, সরকারের ইচ্ছাপূরণেই সচেষ্ট রয়েছে এই সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। নির্বাচনী আচরণবিধিতে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের নির্বাচনী প্রচারণায় বাধা নেই; তবে তাঁরা সরকারি সুযোগ-সুবিধা ব্যবহার করতে পারবেন না বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু তফসিল ঘোষণার আগে মন্ত্রীরা সরকারি সুবিধা নিয়ে ভোট চেয়ে বেড়ালেও কমিশন তার রাশ টানার প্রয়োজন বোধ করছে না। ফলে জনমনে সন্দেহ বেড়েছে। কমিশনের উচিত ছিল ২৭ অক্টোবরেই জনপ্রশাসনের কর্তৃত্ব যথাসম্ভব নিজের হাতে নিয়ে দ্রুততার সঙ্গে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করা। সমঝোতার স্বার্থে তাতে পরিবর্তন আনা যেত।এখনো সময় আছে, নির্বাচন কমিশনকে তার ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালনে অধিকতর সজাগ ও সতর্ক হওয়ার। প্রতিষ্ঠানটিকে অবশ্যই তার নিরপেক্ষ অবস্থান অক্ষুণ্ন রাখতে হবে। সংবিধানপ্রদত্ত ক্ষমতার সদ্ব্যবহার কেন প্রতিষ্ঠানটি করবে না? নির্বাচন কমিশন লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরির কথা বললেও কীভাবে সেটি তৈরি হবে, এখনো তা বলেনি। যদি জনমনে এই ধারণা হয় যে ইসি সরকার বা কোনো মহলের মুখাপেক্ষী, তাহলে রাজনৈতিক সমঝোতা হওয়ার পরও তাদের পক্ষে একটি অবাধ, সুষ্ঠু এবং সবার কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করা কঠিন হবে।নির্বাচন কমিশনের মতো একটি অতীব গুরুত্বপূর্ণ সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে যেমন কঠোরভাবে আইনি বিধিবিধান মেনে চলতে হয়, তেমনি জন-আস্থার বিষয়েও সদা সজাগ থাকতে হয়। এই জন-আস্থা অর্জনে ব্যর্থ হয়েছিল বলেই ২০০৭ সালে এম এ আজিজের নেতৃত্বাধীন কমিশনকে লজ্জাজনকভাবে বিদায় নিতে হয়েছিল। দেশবাসী আগামী নির্বাচন সামনে রেখে তার পুনরাবৃত্তি দেখতে চায় না। কেবল কথায় নয়, আচরণেও নির্বাচন কমিশন কথাটি মনে রাখবে আশা করি।মাইকেল জ্যাকসন স্পাইডারম্যান চরিত্রে অভিনয় করতে এতটাই আগ্রহী ছিলেন যে ১৯৯০ সালে তিনি মারভেল কমিকসের এই চরিত্রটির স্বত্ব কিনে নিতে চেয়েছিলেন।পাইরেটস অব দ্য ক্যারিবিয়ান ছবির ক্যাপ্টেন জ্যাক স্প্যারো চরিত্রে শুরুতে জিম ক্যারিকে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ব্রুস অলমাইটি ছবির জন্য তিনি জ্যাক স্প্যারোর চরিত্র ফিরিয়ে দিয়েছিলেন।১৯৩৯ সালে নির্মিত গন উইথ দ্য উইন্ড ছবির স্কারলেট ও’হারা চরিত্রের জন্য এক হাজার ৪০০ নারীর অডিশন নেওয়া হয়েছিল।১২ বছর বয়স হওয়ার আগ পর্যন্ত রবার্ট প্যাটিনসনের বোনেরা তাঁকে মেয়ে সাজিয়ে রাখতেন এবং অপরিচিত ব্যক্তিদের সঙ্গে ক্লডিয়া নামে পরিচয় করিয়ে দিতেন।ভেন ডিসেল আর অ্যাশটন কুচার— দুজনেরই যমজ ভাই রয়েছে।সূত্র: আইএমডিবিগত নভেম্বরে ৪০ পূর্ণ করলেন। ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চনের নিশ্চয়ই মনে হচ্ছে, সময় কী দ্রুতই না বয়ে যায়! তারুণ্যের সেই দিনগুলোকে যদি লাগাম পরিয়ে রাখা যেত! তবে ঐশ্বরিয়ার জন্য একটা ‘সুখবর’ আছে। ভারতের ভোটার তালিকায় দেখানো হয়েছে তাঁর বয়স ২৩ বছর!সেই ভোটার তালিকার দাবি অনুযায়ী, ২৩ বছর বয়সী ঐশ্বরিয়া রাইয়ের বাড়ি ছত্তিশগড়ের যশপুর জেলার ঘুঘরি গ্রামে। সেই গ্রামের ৩৭৬ নম্বর বাড়িতে থাকেন তিনি। শুধু তা-ই নয়, তাঁর বাবার নাম দিনেশ রাই! যদি ভেবে থাকেন, একই নামের আরেকজন ভোটারের পরিচয়পত্র এটি, ভুল করবেন। কারণ, সেই পরিচয়পত্রে আছে ঐশ্বরিয়ারই ছবি!কর্ণাটকের মেয়ে ঐশ্বরিয়া কীভাবে ছত্তিশগড়ের ভোটার হয়ে গেলেন, এ নিয়ে তদন্ত করে দেখছে রাজ্য পুলিশ। যশপুরের কালেক্টর এল এস সেন জানিয়েছেন, এই নামে এখানে কেউ থাকেই না! মুম্বাই মিরর।
আমাদের এক স্যার ক্যাডেটদের কোথাও দাঁড়িয়ে থাকতে দেখলেই রেগে যেতেন। তাঁর মতে, ক্যাডেটদের অবশ্যই সব সময় কিছু না কিছু করা উচিত! তিনি একদিন দেখলেন, একদল ক্যাডেট মাঠে ফুটবল খেলছে। শুধু একজন মাঠের এক পাশে চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছে। তিনি রেগেমেগে তার দিকে গিয়ে বললেন, ‘কী হলো? তুমি একা দাঁড়িয়ে আছ কেন? যাও, ওদের সঙ্গে খেলো।’ ও বলল, ‘স্যার, আমার বোধ হয় এখানে দাঁড়িয়ে থাকাটাই ভালো।’ স্যার জানতে চাইলেন, ‘কেন?’‘কারণ, আমি গোলরক্ষক।’ক্যাডেট কলেজের এক টার্ম পরীক্ষার হলে এক স্যার খুব কড়া গার্ড দিচ্ছেন। পুরো হলে হাঁটাহাঁটি করছেন, যেন ছাত্ররা দেখাদেখি করতে না পারে। জাহিদ ও আদনানের এতে খুবই সমস্যা হচ্ছিল। কী করা যায়, কী করা যায় ভাবতে ভাবতে জাহিদের মাথায় একটা আইডিয়া এল। সে স্যারকে ডেকে ফিসফিস করে কিছু একটা বলল। স্যার সেটা শুনেই সোজা সিটে গিয়ে বসে পড়লেন। আর উঠলেনই না! পরীক্ষা শেষে আমরা জাহিদকে ধন্যবাদ দিয়ে জিজ্ঞেস করলাম, ‘স্যারকে তুই কী বলেছিলি?’‘তেমন কিছু না, জাস্ট বললাম, স্যার, আপনার প্যান্টের পেছন দিকটা ফাটা!’রেগেমেগে প্যারেডের মাঠ থেকে রুমে ফিরল আমার রুমমেট শাহরিয়ার। আমি বললাম, ‘কী হলো দোস্ত? আজ এত চটে আছিস কেন?’ শাহরিয়ার বলল, ‘আর বলিস না। প্রতিদিন প্যারেড গ্রাউন্ডে যে জুনিয়রের ওপর রাগ ঝাড়ি, সে আজ প্যারেডে আসেনি। মেজাজটাই খারাপ হয়ে আছে!’আন্ত ক্যাডেট কলেজ ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় দুই ক্যাডেট কলেজের দুই পুরোনো বন্ধুর দেখা। কলেজের ছাদে আড্ডা দিচ্ছে দুজনে। কথা হচ্ছে, কার জুনিয়ররা সিনিয়রদের কথা শুনে কতটা বেশি সাহসী, এই নিয়ে। প্রমাণ দেখানোর জন্য রংপুর ক্যাডেট কলেজের শাকির তার সঙ্গে আসা এক জুনিয়র ক্যাডেটকে বলল, ‘যাও তো, ওই ডাবগাছ থেকে একটা ডাব পেড়ে আনো!’ জুনিয়র ক্যাডেটটি সঙ্গে সঙ্গেই গিয়ে একটা ডাব পেড়ে আনল! তারপর শাকির গর্ব করে বলল, ‘দেখলি, কত সাহস?’ সিলেট ক্যাডেট কলেজের মুবিনও তার কলেজের এক জুনিয়রকে ডেকে বলল, ‘যাও তো, ওই ডাবগাছ থেকে একটা ডাব পেড়ে আনো!’ ছেলেটি গাছের দিকে তাকাল একবার, অদূরে দাঁড়িয়ে থাকা নিরাপত্তা প্রহরীদের রুমের দিকে তাকাল একবার, তারপর বলল, ‘মাথা ঠিক আছে? পারলে নিজে যান!’ মুবিন বলল, ‘দেখলি, কত সাহস?’নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধনের জন্য অপেক্ষমাণ নবগঠিত রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ) দাবি করেছে বান্দরবান জেলা শহর ও অন্য দুটি উপজেলায় তাদের কার্যালয় রয়েছে। বাস্তবে এসব কার্যালয়ের কোনো অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি। জেলা শহরে ভাড়ায় নেওয়া একটি ফ্ল্যাটকে কার্যালয় হিসেবে দেখানো হলেও ভাড়ার দলিলটি ভুয়া বলে জানা গেছে। ওই ফ্ল্যাটে পরিচিতি ফলকবিহীন একটি কক্ষে ধানের শীষ ও জিয়াউর রহমানের ছবি ছাড়া আর কিছুই পাওয়া যায়নি। অন্যদিকে লামা ও আলীকদম উপজেলায়ও পাওয়া গেছে ভুয়া ভাড়ানামা চুক্তিপত্র ও পরিচিতিফলক।জেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বিএনএফ নেতারা নির্বাচন কমিশনের কাছে দেওয়া তথ্যে দাবি করেন, বান্দরবানে তাঁদের জেলা শাখা এবং লামা, আলীকদম ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় শাখা কার্যালয় আছে। তাঁদের এ দাবির ব্যাপারে জেলা নির্বাচন কার্যালয় থেকে তদন্ত করা হয়।তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, নাইক্ষ্যংছড়িতে বিএনএফের কমিটি বা কার্যালয় কোনো কিছুই পাওয়া যায়নি। জেলা নির্বাচন কার্যালয়ে দাখিল করা দলের জেলা কার্যালয়ের ভাড়ার চুক্তিপত্রে মূল ভাড়াটিয়া আনন্দ দাশ ও ভবন মালিকের কোনো সই নেই। চুক্তিতে প্রথম পক্ষে আব্দুর রহমান এবং দ্বিতীয় পক্ষে বিএনএফের সভাপতি আব্দুর রহমান মানিক নামে পৃথক দুটি সই রয়েছে। সই দুটি দেখতে আলাদা হলেও এগুলো একই ব্যক্তির বলে নির্বাচন কার্যালয়ের তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।নথিপত্র ঘেঁটে এবং স্থানীয়ভাবে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের কাছে লাকি প্লাজা নামে একটি আবাসিক ভবনের চারতলার ফ্লাটে বিএনএফ কার্যালয়ের ঠিকানা দেওয়া হয়েছে। ওই ফ্লাটের মূল ভাড়াটিয়া আনন্দ দাশ জানান, তিনি আব্দুর রহমান মানিক নামে এক ব্যক্তির কাছে ফ্লাটটি এক বছরের জন্য উপ-ভাড়া (সাবলেট) দিয়েছেন। তবে সেখানে রাজনৈতিক দলের কার্যালয় করার কথা ছিল না।এ বিষয়ে বিএনএফের সভাপতি আব্দুর রহমান ওরফে মানিক দাবি করেন, ভাড়ার দলিলটি তিনি নিজের জন্য করেছিলেন। বিএনএফের সভাপতি হওয়ার পর তিনি সেখানে দলের কার্যালয় করেছেন। পরিচিতি ফলকও লাগিয়েছিলেন। কিন্তু কে বা কারা তা খুলে ফেলে দিয়েছে। নির্বাচন কার্যালয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আলীকদম ও লামা উপজেলায় বিএনএফের কার্যালয় রয়েছে। তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ওই দুই উপজেলায় দলটির কোনো কার্যালয় বর্তমানে নেই। বিষয়টি স্বীকার করে লামা বিএনএফের সভাপতি ফরিদুল আলম জানান, ঢাকা থেকে টাকা ও আসবাবপত্র দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু তা না দেওয়ায় লামায় কমিটির কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, কার্যালয়ও নেই। আলীকদমেও কোনো কার্যালয় নেই বলে স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন। জানতে চাইলে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ বলেন, ‘দুবার তদন্ত করে যা পাওয়া গেছে প্রতিবেদনে তা উল্লেখ করা হয়েছে।’ এ ব্যাপারে তিনি বিস্তারিত কিছু জানাতে চাননি।চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আগামীকাল শনিবার অনুষ্ঠেয় সব পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি কমিটির সচিব এস এম আকবর হোসেন প্রথম আলো ডটকমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।আগামীকাল সকাল ও বিকেলে কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের অধীনে বি২ থেকে বি৭ ইউনিটের পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে তা স্থগিত করা হয়েছে।বিরোধী দলের গণতন্ত্রের অভিযাত্রা প্রতিহত করতে গিয়ে সরকার যে দেশের মানুষকেই বড় ধরনের প্রতিরোধের মুখে ফেলে দিয়েছে, সে বিষয়ে সন্দেহ নেই। কয়েক দিন ধরে দেশের অন্যান্য স্থান থেকে রাজধানীকে প্রায় বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়েছে। এর পক্ষে সরকার বিরোধী দলের নাশকতার দোহাই দিলেও গত রোববার সুপ্রিম কোর্ট চত্বরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ছত্রচ্ছায়ায় সরকারি দলের একশ্রেণীর নেতা-কর্মী আইনজীবীদের ওপর ঘৃণ্য ও বর্বরোচিত হামলা চালিয়েছেন। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই।বিরোধী দলের কর্মসূচির প্রথম দিনে সরকারদলীয় নেতা-কর্মীরা সুপ্রিম কোর্ট চত্বরে ঢুকে আইনজীবীদের ওপর কেবল হামলাই চালাননি, নারী আইনজীবীকে কিল-ঘুষি, লাথি মেরে রাস্তায় ফেলে দিয়েছেন, তাঁর পোশাক ছিঁড়ে ফেলেছেন। প্রথম আলোর ছবিতে দেখা যায়, একদল বেপরোয়া যুবক একজন নারী আইনজীবীকে রাস্তায় ফেলে দিয়ে লাঠিপেটা করছেন। একইভাবে সরকারি দলের সমর্থকদের হাতে লাঞ্ছিত হয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা। প্রেসক্লাবের সামনে সাংবাদিক সমাবেশেও হামলার ঘটনা ঘটেছে। এরাই নাকি গণতন্ত্র ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার রক্ষক!সুপ্রিম কোর্ট চত্বরে রাজনৈতিক সভা-সমাবেশ করা বেআইনি। এ ব্যাপারে সর্বোচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা আছে। সেই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কেউ মিছিল-সমাবেশ করলে তাঁদের বিরুদ্ধে সরকার আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারে। কিন্তু সেই সুপ্রিম কোর্ট চত্বরে বিরোধী দলের সমর্থকেরা সমাবেশ করলে সরকারি দলের কর্মীরা তাঁদের ওপর মাস্তানি করতে পারেন না। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আইনজীবীদের সমাবেশে বিরোধী দলের নেতারাও যোগ দিয়েছেন। বিরোধী দলের নেতারা আইনজীবীদের সমাবেশে যোগ দিলেই কী তাঁদের ওপর হামলা করতে হবে? সরকারি দলের সমর্থকদের হাতে যে নারী নিগৃহীত ও লাঞ্ছিত হয়েছেন, তিনি বহিরাগত নন, সুপ্রিম কোর্টের একজন আইনজীবী।গণতন্ত্র, সংবিধান, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা—সবকিছু সভ্য মানুষের জন্য। কিন্তু যাঁরা প্রকাশ্য রাজপথে নারীদের লাঠিপেটা করেন, সেই অসভ্যদের হাতে যে এর কোনোটাই নিরাপদ নয়, সেই সত্যটি ক্ষমতাসীনদের বুঝতে হবে। বিরোধী দলের নৈরাজ্য ঠেকাতে সরকারি দলের নেতা-কর্মীরা যে দুই দিন ধরে রাজধানীতে বিভীষিকাময় পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছেন, তার জবাব কী?এই ন্যক্কারজনক ঘটনার পর আমরা আশা করেছিলাম, সরকারি দলটির পক্ষ থেকে অনুশোচনা করা হবে। কিন্তু সেই অনুশোচনার বদলে পরদিন দ্বিগুণ উৎসাহ নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট এলাকায় প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন তাঁরা। শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ-সমাবেশ করার অধিকার নিশ্চয়ই তাঁদের আছে। কিন্তু তাই বলে অন্যের সভা-সমাবেশের ওপর হামলা চালাতে পারেন না।সরকার যদি সত্যি সত্যি আইনের শাসনে বিশ্বাসী হয়, যদি নারী নির্যাতকদের বিরুদ্ধে কঠোর হয়, তাহলে পত্রিকায় প্রকাশিত ছবি দেখে দেখে অপরাধীদের শনাক্ত করে তাঁদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাবে। বিশ্বজিৎ হত্যাকারীদের চেয়ে এঁদের অপরাধও কোনো অংশে কম নয়।
মাজনুন মিজান। অভিনয়শিল্পী। চ্যানেল নাইনে শুরু হলো ধারাবাহিক নাটক চন্দ্রাবতী। এতে অভিনয় করছেন তিনি।‘চন্দ্রাবতী’...নাটকটির কাহিনি ও চিত্রনাট্য লিখেছেন এবং পরিচালনা করছেন অঞ্জন আইচ। অনেকটা ‘সিচুয়েশনাল কমেডি’ ধাঁচের নাটক। নাটকে আমি পীরের খাদেম। নাম রিংকু। রিংকু দ্বিমুখী। ভীষণ চতুর, আবার পীরের ভক্ত।ঈদে আমার অভিনীত নাটক আর টেলিছবি...শামীম আহমেদের পরিচালনায় তিনটি নাটক করছি। গৃহত্যাগ প্রকল্প প্রাইভেট লিমিটেড, সব প্রেমের গল্প এক হয় না ও হোটেল চিটাগং। মাহফুজ আহমেদের পরিচালনায় করলাম দ্য ডক্টর আর ভালো থেকো সবুজ পাতা, অঞ্জন আইচের পরিচালনায় দুটি নাটক প্রতিফলন আর শুভ অমাবস্যা। জুয়েল রানার পরিচালনায় ওপারে অসীম আকাশ আর শাহীন কবিরের বিয়ের ফুল নাটক।অন্য রকম...একটা নাটকের কথা আলাদা করে বলব। মাহমুদ দিদারের পরিচালনায় এ কেমন শহরে এসে তুমি দাঁড়ালে। এই নাটকে আমি পাকিস্তানি লেখক সাদাত হাসান মান্টোর চরিত্রে অভিনয় করেছি।‘দাবাড়ু’র খবর...দাবাড়ু নামে একটি অ্যাকশন ধাঁচের ছবিতে অভিনয় করার ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। শুনেছি ছবিতে কলকাতার একজন নায়িকা অভিনয় করবেন। পুরোপুরি বাণিজ্যিক ছবি। ছবির ফাইট ডিরেক্টর আসবেন চেন্নাই থেকে।সবচেয়ে বড় অর্জন...আমি নিয়মিত অভিনয় করতে পারছি, এটাই আমার সবচেয়ে বড় অর্জন। আমার জীবন-মরণ, সকাল, সন্ধ্যা, রাত, দুপুর—সবই নাটক!প্রচারের অপেক্ষায়...পূজা উপলক্ষে একটি নাটক করেছি রাজডুঙ্গি বৃষ্টিতে গল্প, হাসান মোরশেদের পরিচালনায়। নতুন একটা বিজ্ঞাপনচিত্রে কাজ করেছি। শিগগিরই এর প্রচার শুরু হবে।মো. সাইফুল্লাহসমুদ্র, নদী আর পাহাড়ের কোল ঘেঁষে গড়ে উঠেছে একটি শহর। এই জনপদেই শান্তির প্রতীক হয়ে প্রাচীনকাল থেকে আলো বিলিয়ে যাচ্ছে শাক্যমুনি বৌদ্ধবিহার। বৌদ্ধ, মুসলিম, হিন্দু—সব ধর্মের মানুষের জন্যই বিহারের দরজা অবারিত। সহাবস্থান আর সম্প্রীতিই এই জনপদের রীতি। তবু একদিন হঠাৎ যেন বদলে গেল সবকিছু। শান্তির জনপদ পুড়ল হিংসার আগুনে। কীভাবে, কেন সবারই এই প্রশ্ন। বুদ্ধ পূর্ণিমার চাঁদ ঢাকা পড়ল হিংসার বিষে। শুভ্র সাদা চাঁদ হয়ে উঠল কালো চাঁদ।গত সোমবার শিল্পকলা একাডেমী মঞ্চে অনুষ্ঠিত হলো বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব থিয়েটার আর্টসের (বিটা) কালো চাঁদ নাটকের প্রথম প্রদর্শনী।হ্যাঁ, মঞ্চের দিকে তাকিয়ে ক্ষণে ক্ষণেই দর্শকের মনে পড়ছিল রামুর কথা। নাটকের কোথাও বলা না হলেও এ যেন রামুকাণ্ডকেই নতুনভাবে দেখার চেষ্টা। সম্প্রীতি আর ঐক্যের সুরের মাঝে হঠাৎ কালো চাঁদ উদিত হওয়ার কাহিনি।রামুতে কী ঘটেছিল অথবা কারা শত বছরের সব প্রাচীন বৌদ্ধমন্দির পুড়িয়েছে তার কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি এই নাটকে। বরং সাম্প্রদায়িক ভেদাভেদের পেছনে কী মনোভাব কাজ করে সেটাই যেন তুলে ধরতে চাওয়া হয়েছে এই নাটকে। নাটকের কাহিনি আবর্তিত হয়েছে শাক্যমুনি বিহারের প্রধান ভান্তে জীনপদ থের আর একদা জলোচ্ছ্বাসে ভেসে আসা বালক রাসুকে ঘিরে। রাসুর পরিচয় জানা না গেলেও ওর গলায় আরবি লেখা তাবিজ পাওয়া গিয়েছিলো। জীনপদের স্নেহে রাসু বড় হতে থাকলেও একশ্রেণীর মানুষের সাম্প্রদায়িক মনোভাবের বিষে আক্রান্ত হয় সেও। শেষে কিছু সাম্প্রদায়িক মানুষ ঝাপিয়ে পড়ে মন্দিরের ওপর। বুদ্ধপূর্ণিমার রাতে আগুন দেয় মন্দিরে।কিন্তু কী কারণে মানুষগুলো মন্দিরে আগুন দিল তা বোঝা যায় না।এমন আরও অনেক দুর্বলতা থাকা সত্ত্বেও নাটকটি শেষ পর্যন্ত দর্শককে সাম্প্রতিক ঘটনা প্রবাহের সঙ্গে যুক্ত করে। আর এখানেই এর সাফল্য।নাটকে রাসুর চরিত্রে অনবদ্য অভিনয় করেছেন শারমিন আক্তার। সার্বিক পরিকল্পনায় ছিলেন শিশির দত্ত। সংগীত আয়োজনে ছিলেন দীপঙ্কর দে। অশোক বড়ুয়া রচিত নাটকটির নির্দেশনা দিয়েছেন মুকুল আহমেদ।আগামীকাল শনিবার ভোর ছয়টা থেকে মঙ্গলবার ভোর ছয়টা পর্যন্ত আবারও টানা ৭২ ঘণ্টার সড়ক, রেল ও নৌপথ অবরোধের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮-দলীয় জোট।আজ শুক্রবার রাতে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ কর্মসূচির ঘোষণা করেন।রিজভী বলেন, শীর্ষ নেতাদের নামে মামলা, নেতা-কর্মীদের ওপর জুলুম, নির্যাতন, গ্রেপ্তার ও একতরফাভাবে তফসিল ঘোষণার প্রতিবাদে এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।এর আগে গত মঙ্গলবার থেকে আজ ভোর পাঁচটা পর্যন্ত সারা দেশে সড়ক, রেল ও নৌপথ অবরোধের ঘোষণা দিয়েছিল ১৮-দলীয় জোট।শীতের সবজি আর পিঠা—এ দুটোই শীতের মজার খাবার। পুরো শীতকালে সবজির বাজার নানা রকম সবজিতে থাকে ঠাসা। ফুলকপি, বাঁধাকপি, ওলকপি, ব্রোকলি, গাজর, শালগম, টমেটো, শিম, চিনা বাঁধাকপি, লাল বাঁধাকপি, ফ্রেঞ্চবিন—কত-না সবজি! এর সঙ্গে রয়েছে শীতের মজাদার পালংশাক। এসব শাকসবজি খেয়ে পুরো শীতকাল চনমনে হয়ে উঠতে পারেন, বাড়াতে পারেন দেহের পুষ্টি। যদিও শীতের বেশ কিছু সবজি এখন অন্য সময়েও পাওয়া যায়, তবু শীতকালে শীতের সবজির মজাই যেন আলাদা।শীতের শিশিরে সবজি থাকে টাটকা। শাকসবজি যত টাটকা খেতে পারবেন, তার পুষ্টিগুণ তত বেশি ঠিক থাকবে। খেত থেকে তোলার পরই সবজির অনেক পুষ্টিগুণ নষ্ট হতে থাকে। যেমন টমেটো খেত থেকে তোলার তিন দিনের মধ্যে তার ভিটামিন ‘সি’ প্রায় অর্ধেক কমে যায়। তাই যে সবজিই খাবেন, সতেজ ও টাটকা সবজি খাওয়ার চেষ্টা করবেন।শীতকালে সবজি খাওয়ার আরেকটা সুবিধা আছে। তা হলো, শীতকালে শাকসবজিতে পোকামাকড়ের উপদ্রব থাকে কম। তাই শাকসবজিতে বিষাক্ত কীটনাশক গ্রীষ্ম-বর্ষাকালের চেয়ে তুলনামূলকভাবে কম দেওয়া হয়। সে জন্য শীতকালের সবজি খাওয়ায় স্বাস্থ্যঝুঁকি থাকে কম। তবু কোনো কোনো সবজি, বিশেষ করে ফুলকপি, বাঁধাকপি ও শিমে অনেকে নির্বিচারে কীটনাশক দিয়ে থাকেন। তুলনামূলকভাবে এ তিনটি শীতের সবজি তাই কখনো কখনো স্বাস্থ্যের উপকারের বদলে ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।বাজার থেকে এসব সবজি কেনার সময় গন্ধ শুঁকে কীটনাশকের উপস্থিতি কিছুটা বোঝা যায়। যদি দু-এক দিন আগে এসব সবজিতে কোনো কীটনাশক সেপ্র করা হয়ে থাকে, সেসব সবজি থেকে কীটনাশকের কিছুটা গন্ধ পাওয়া যাবে। কোনো ঝুঁকি নিতে না চাইলে রান্নার আগে সবজিগুলো লবণ বা তেঁতুল-গোলা পানিতে ১৫ মিনিট ভিজিয়ে রাখবেন। প্রতি লিটার পানিতে ২০ গ্রাম লবণ বা তেঁতুল মিশিয়ে এ দ্রবণ তৈরি করা যায়। এভাবে ভেজালে ৪০ থেকে ৬০ শতাংশ বিষ দ্রবণে গুলে শাকসবজি থেকে বেরিয়ে আসে। ফলে বিষাক্ততা কমে যায়। এরপর সেসব সবজি আবার পরিষ্কার জলে ভালো করে ধুয়ে নেবেন। এরপর রান্না করলে তাপে বাকি বিষটুকুর অনেকটাই নষ্ট হয়ে যায়। এভাবে শোধনের ফলে বিষাক্ত শাকসবজির বিষাক্ততা প্রায় ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ কমে যায় ও সবজিগুলো সতেজ হয়ে ওঠে।লবণ বা তেঁতুলপানিতে শাকসবজি এভাবে শোধন করা সম্ভব না হলে পরিষ্কার পানিতে আধা ঘণ্টা ভালো করে ভিজিয়ে রেখে ধুয়ে নিলেও অনেকটা উপকার হয়। তবে সারা বছর বিষমুক্ত নিরাপদ সতেজ সবজি খেতে চাইলে ছাদে বা বাড়ির আঙিনায় এক ফালি সবজির বাগান করে সেখান থেকে পরিবারের জন্য কিছু শাকসবজি ফলাতে পারেন। এখনই টবে বা জমিতে শিম, বেগুন, টমেটো, ক্যাপসিক্যাম মরিচ ইত্যাদির চারা লাগিয়ে দিতে পারেন। লেখক: কৃষিবিদ
অস্কারজয়ী ভারতের প্রখ্যাত সুরকার, সংগীত পরিচালক ও শিল্পী এ আর রহমান কলকাতায় এসেছেন গত শনিবার। ১ অক্টোবর সন্ধ্যায় এ আর রহমানের কনসার্ট হবে কলকাতার যুব ভারতী ক্রীড়াঙ্গনে।শনিবার কলকাতায় এক সংবাদ সম্মেলনে রহমান বলেন, ‘অক্টোবর মাসজুড়ে ভারতের বিভিন্ন শহরে আমি কনসার্ট করব। আমার এই কনসার্টের নাম “রহমানিশক”। কলকাতার পর কনসার্ট হবে অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপটনমে ইন্দিরা গান্ধী ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। এর পরের কনসার্টগুলো হবে রাজস্থানের জয়পুর ও গুজরাটের আহমেদাবাদে।’কলকাতার কনসার্টে পাঁচ স্তরের টিকিটের দাম চূড়ান্ত করা হয়েছে। টিকিটগুলো হলো দিল সে পাঁচ হাজার রুপি, যোধা দুই হাজার রুপি, ইশক এক হাজার ৫০০ রুপি, তাল এক হাজার রুপি এবং রোজা ৫০০ রুপি।গুয়াতেমালার অবহেলিত শিশুদের জন্য স্কুল বানিয়ে দিয়েছেন জাস্টিন বিবার। শুধু অর্থসাহায্য নয়, স্কুল নির্মাণকাজে কাঁধ মিলিয়ে অংশও নিয়েছেন এই পপ তারকা। এখানে একটি কনসার্টে এসেছিলেন তিনি। কনসার্ট শেষ করার পর স্থানীয় একটি গ্রামে গিয়ে স্কুল বানিয়ে দেন বিবার। টিএমজেডডটকমে প্রকাশিত ছবিতে দেখা গেছে, ঘেমেনেয়ে একাকার বিবার শার্ট খুলে উদোম গায়েই কাজ করছেন। নিজের পায়ের জুতা খুলে সেটি এক কিশোরের পায়েও পরিয়ে দিয়েছেন। নিজের বলে এই সফরের একটি ভিডিও পোস্ট করে বিবার লিখেছেন, ‘এটা আমার জীবনের অন্যতম সেরা অভিজ্ঞতা।’ আইএএনএস।আগামী ২০১৪-২০১৫ সালের জন্য আন্তর্জাতিক সমুদ্রবিষয়ক সংস্থায় (আইএমও) ‘বি’ ক্যাটাগরিতে কাউন্সিল সদস্য পুনর্নির্বাচিত হয়েছে বাংলাদেশ। আইএমওর ২৮তম দ্বিবার্ষিক সাধারণ সভার পঞ্চম দিনে আজ শুক্রবার সংস্থাটির লন্ডনের প্রধান কার্যালয়ে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।লন্ডনে অবস্থিত বাংলাদেশি হাইকমিশনের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। রাশেদ চৌধুরী স্বাক্ষরিত ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আইএমও জাতিসংঘের সমুদ্র-সংশ্লিষ্ট বিশেষায়িত সংস্থা। এই নির্বাচনে বি ক্যাটাগরিতে নির্বাচিত সদস্য হিসাবে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সমুদ্রপথে বাণিজ্য সম্প্রসারণে বিশেষ ভূমিকা রাখবে।লন্ডনে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মিজারুল কায়েস বলেন, আইএমওতে বাংলাদেশের এ বিজয় বর্তমান সরকারের বৈদেশিক নীতির একটি অর্থবহ কূটনৈতিক সফলতা। এটি নিঃসন্দেহে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি বাড়াবে।লন্ডনে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের প্রধান নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, ১৭০টি দেশের এ সংস্থায় বাংলাদেশের বিজয় সাম্প্রতিক সময়ে বহুপক্ষীয় কূটনীতিতে একটি বিরাট অর্জন ।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাহাজ নির্মাণ, জাহাজ রিসাইক্লিং সমুদ্রবাহিত আন্তর্জাতিক ব্যবসায় একটি শক্তিশালী ও সম্ভাবনাময় দেশ হিসেবে এ বিজয় বাংলাদেশের জন্য খুবই তাত্পর্যপূর্ণ। গুরুত্বপূর্ণ এ আন্তর্জাতিক সংস্থায় পুনর্নির্বাচিত হতে লন্ডনের বাংলাদেশ হাইকমিশন সদস্য দেশগুলোর সঙ্গে গত তিন মাস ধরে ব্যাপক কূটনৈতিক তত্পরতা চালায়। এর ফলে বাংলাদেশ ১৭০টি দেশের মধ্যে ১৩০টিরও বেশি দেশের সমর্থন আদায়ে সফল হয়।বাংলাদেশ ছাড়া বি ক্যাটাগরিতে কাউন্সিল সদস্য নির্বাচিত অন্য দেশগুলো হলো আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ভারত, নেদারল্যান্ডস, স্পেন ও সুইডেন।প্রাথমিক শিক্ষা সব শিক্ষার মূল ভিত্তি। আমাদের দেশে শিক্ষাক্ষেত্রে চলমান নানা অনিয়ম আর বৈষম্যে ভরা। শিক্ষা উন্নয়নে রাষ্ট্রপক্ষ সব দিক দিয়ে শিক্ষকদের অবহেলার চোখে দেখে। এ দেশের প্রাথমিক স্তর ব্যতীত অন্যান্য স্তরে শিক্ষক তথা শিক্ষাসংশ্লিষ্ট পদগুলোর আর্থিক সুবিধা মোটামুটি বলা চলে। স্বাধীনতার চার দশক পরে জাতিকে একটি শিক্ষানীতি উপহার দিতে সক্ষম হয়েছে।শিক্ষানীতি ব্যতীত কোনো দেশে শিক্ষায় সফলতা আশা করতে পারে না, এ কথা সত্য। আমাদের দেশে শিক্ষা সম্প্রসারণে নানা কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে, যা চলমান প্রক্রিয়া। কিন্তু তৃণমূল পর্যায়ে আসল সম্প্রদায়কে পাশ কাটিয়ে যাওয়ার কলাবর্তন সন্তোষজনক নয়। জাতির জনক ১৯৭৩ সালে এ দেশের প্রাথমিক শিক্ষাকে জাতীয়করণ করেন। কালক্রমে প্রাথমিক শিক্ষায় তারপর শিক্ষকদের কল্যাণে আশানুরূপ কিছু করা হয়নি। প্রাথমিক শিক্ষকদের কল্যাণে আশানুরূপ কিছু করা হয়নি। প্রাথমিক শিক্ষায় বৈপ্লবিক পরিবর্তনে সরকার বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ ডিগ্রিধারীদের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হলেও তাঁদের ধরে রাখার মতো মানসম্মত বেতন স্কেল দেওয়া হয় না। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের দাবি প্রধান শিক্ষকদের দ্বিতীয় শ্রেণীর গেজেটে ও মর্যাদাসহ ৮০০০ টাকা মূল বেতন। উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের ১৫ হাজার টাকা মূল বেতন দেওয়া হয়, যা কিনা জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের সমপর্যায়ের। প্রাথমিক শিক্ষকদের দাবি এবং আন্দোলনের ফলস্বরূপ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় প্রধান শিক্ষকদের দ্বিতীয় শ্রেণীর পদমর্যাদাসহ ৬৪০০ টাকা মূল বেতন নির্ধারণ করল। এটা শিক্ষকদের জন্য মর্যাদাকর নয়।এ কে এম আবদুল মজিদকৃষ্ণপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়, সিরাজগঞ্জ।
চ্যানেল আইবেলা ৩-০৫ স্লামডগ মিলিয়নিয়ার (দেব প্যাটেল, ফ্রিদা পিন্টো, অনিল কাপুর)।এনটিভিসকাল ৮-৪৫ বিশ্বনেত্রী (জসিম, শাবানা, আমিন খান, শাহনাজ, হুমায়ুন ফরীদি)।দেশ টিভিসকাল ৮-০০ স্নেহের প্রতিদান।আরটিভিদুপুর ১২-৩০ সমর (রাজ্জাক, আলমগীর, দিতি, শাবানা)।বাংলাভিশনবেলা ১-০৫ উল্টাপাল্টা ৬৯ (মান্না, পূর্ণিমা, ইরিন জামান)।বৈশাখী টিভিসকাল ১০-১৫ অন্ধ আইন।মাছরাঙা টিভিসকাল ৯-০২ ঘাত সংঘাত (শাকিল খান, অমিত হাসান, ইরিন জামান)।চ্যানেল নাইনসকাল ৯-০০ এতিম রাজা (মান্না, কবিতা)।জি টিভি (গাজী টিভি)বেলা ১১-৩০ মনে রেখো আমায় (রিয়াজ, পূর্ণিমা)।ইটিভি বাংলাদুপুর ১-৩০ জীবন মৃত্যু (উত্তম কুমার, সুপ্রিয়া দেবী)।সনি আটসকাল ১০-৩০ দেবদাস (প্রসেনজিৎ, অর্পিতা পাল, ইন্দ্রানী হালদার)। বিকেল ৪-৩০ ওরা কারা (অমিতাভ বচ্চন, ধর্মেন্দ্র, ডিম্পল কাপাডিয়া, মৌসুমী চ্যাটার্জি)।জলসা মুভিজসকাল ৯-৩০ নৌকাডুবি (প্রসেনজিৎ, যীশু, রাইমা সেন, রিয়া সেন)। ১২-৪০ সকাল সন্ধ্যা (প্রসেনজিৎ, রচনা)। ৪-২০ কলকাতা ফুটবল লিগ। সরাসরি। ৬-৩০ বাইশে শ্রাবণ (প্রসেনজিৎ, রাইমা সেন, পরমব্রত, আবির)। ৯-৩০ চ্যাম্পিয়ন (জিৎ, দেব, শ্রাবন্তী, সাগরিকা)।জি সিনেমাসকাল ৯-০০ দ্য ডন (মিঠুন, সোনালী বেন্দ্রে)। ১২-১৪ নো প্রবলেম (সঞ্জয় দত্ত, কঙ্গনা রনৌত, সুনিল শেঠি)। ৩-২১ রিটার্ন অব চন্দ্রমুখী ৩ (মাম্মোথি, কনিকা)। ৬-৩০ বিচ্ছু (ববি দেওল, রানী মুখার্জি, আশীষ বিদ্যার্থী)। ৯-৩০ লাওয়ারিশ (অমিতাভ বচ্চন, জিনাত আমান, রাখী)।সেট ম্যাক্স (ভারত)সকাল ৮-০০ সাত্তে পে সাত্তা (অমিতাভ বচ্চন, হেমা মালিনী)। ১১-৩০ তেজাব (অনিল কাপুর, মাধুরী দীক্ষিত)। ৩-০০ ম্যায় হুঁ ওয়ান্টেড। ৫-৫৫ কিউ কি...ম্যায় ঝুট নেহি বোলতা (গোবিন্দ, সুস্মিতা সেন, রম্ভা)। ৯-৩০ আমদানি আঠানি খরচা রূপাইয়া (গোবিন্দ, জুহি চাওলা, টাবু)।ফক্স মুভিজসকাল ৮-৪০ দ্য মমি: টুম্ব অব দ্য ড্রাগন এম্পায়ার (ব্রেনড্যান ফ্রেজার, জেট লি, মিশেল ইয়ো)। ১০-৪০ টেকেন ২ (লিয়াম নিসন)। ১২-১৫ পাইরেটস অব দ্য ক্যারিবিয়ান (জনি ডেপ, কেইরা নাইটলি, অরল্যান্ডো ব্লুম)। ৩-০৫ দ্য বুক অব এলি (ডেনজেল ওয়াশিংটন, মিলা কুনিস)। ৫-০৫ কন এয়ার (নিকোলাস কেজ, জন ক্যুসেক, জন মালকোভিচ)। ৭-০০ মুনরাইজ কিংডম (ব্রুস উইলিস, বিল মুর)। ৮-৪০ প্রমিথিউস (শার্লিজ থেরন)। ১০-৪৫ টেকেন ২।এইচবিওসকাল ৯-০৩ স্টম্প দ্য ইয়ার্ড। ১১-১৬ অং বাক ২। ১২-৪১ শার্লক হোমস: এ গেম অব শ্যাডোজ (রবার্ট ডাউনি জুনিয়র, জড ল)। ৩-৩৪ ওয়াইল্ড ওয়াইল্ড ওয়েস্ট (উইল স্মিথ, সালমা হায়েক)। ৫-৩৭ হোয়েন ইন রোম (ক্রিস্টেন বেল, অ্যাঞ্জেলিকা হিউস্টন)। ৭-২৭ গ্রোন আপস (অ্যাডাম স্যান্ডলার, সালমা হায়েক)। ৯-৩০ ম্যান অন এ লিগ।পরামর্শরবিউল কবীর চৌধুরীবিশেষজ্ঞ (পরীক্ষক ও মূল্যায়ন)বাংলাদেশ পরীক্ষা উন্নয়ন ইউনিটসমন্বয়, সৃজনশীল প্রশ্নপদ্ধতিবিষয়ক মাস্টার ট্রেইনার প্রশিক্ষণ কর্মসূচিসৃজনশীল পদ্ধতিতে প্রশ্নগুলোর উত্তর সঠিকভাবে লিখতে হলে শিক্ষার্থীকে ভালো করে অবশ্যই পাঠ্যবই পড়তে হবে।সৃজনশীল প্রশ্নপদ্ধতির দুটি অংশ—বহুনির্বাচনী (এমসিকিউ) এবং ব্যাখ্যামূলক (সৃজনশীল প্রশ্ন)। উভয় অংশেই শুধু মুখস্থ করে উত্তর দেওয়ার ক্ষেত্র সীমিত। বহুনির্বাচনী এবং ব্যাখ্যামূলক বা সৃজনশীল অংশে কিছু প্রশ্ন থাকবে যা শিক্ষার্থী মুখস্থ করে উত্তর দিতে পারবে। কিছু প্রশ্ন থাকবে শিক্ষার্থী পাঠ্যবইয়ের বিষয়বস্তু বুঝে উত্তর দেবে। কিছু প্রশ্ন থাকবে, যার মাধ্যমে শিক্ষার্থী পাঠ্যবইয়ের যে বিষয়বস্তুগুলো আত্মস্থ করেছে তা বাস্তব জীবনে কতটুকু প্রয়োগ করতে পারে, তা দেখা হবে। কিছু প্রশ্ন থাকবে যার মাধ্যমে শিক্ষার্থীর আগের জানা তথ্য ব্যবহার করে নতুন কোনো পরিস্থিতিতে বিচার-বিশ্লেষণ করার, সিদ্ধান্ত গ্রহণের এবং মূল্যায়নের দক্ষতাকে দেখা হবে।বহুনির্বাচনী অংশ: বহুনির্বাচনী প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার ক্ষেত্রে চারটি বিকল্প উত্তর (ক, খ, গ, ঘ) থেকে একটি সঠিক উত্তর বেছে নিতে হয়। কিছু কিছু বহুনির্বাচনী প্রশ্নের শুরুতেই একটি দৃশ্যকল্প বা উদ্দীপক থাকে। প্রশ্নের শুরুতে যখনই কোনো দৃশ্যকল্প বা উদ্দীপক থাকবে শিক্ষার্থীকে তখন বুঝতে হবে যে তার (শিক্ষার্থী) কাছ থেকে পাঠ্যবইয়ের কোনো সুনির্দিষ্ট তত্ত্ব, তথ্য, ধারণা, নিয়মনীতি, সূত্র ইত্যাদি প্রয়োগ চাওয়া হচ্ছে। অর্থাৎ শিক্ষার্থী পাঠ্যবইয়ের সেই সুনির্দিষ্ট বিষয়গুলো বাস্তব জীবনের কোনো পরিস্থিতিতে প্রয়োগ করতে পারছে কি না, তা দেখা হবে। শিক্ষার্থীর জানা জ্ঞানকে বাস্তব জীবনের নতুন পরিস্থিতিতে শুধু প্রয়োগ করার ক্ষমতাই দেখা হবে না, বরং শিক্ষার্থী পাঠ্যবইয়ের তথ্যের ভিত্তিতে সেই নতুন পরিস্থিতি বিচার-বিশ্লেষণ করতে পারছে কি না, তা-ও দেখা হবে।সৃজনশীল অংশ: সৃজনশীল অংশের প্রশ্নগুলোর উত্তর দেওয়ার আগে শিক্ষার্থীর সামনে একটি নতুন পরিস্থিতি তুলে ধরা হবে। এ নতুন পরিস্থিতি হচ্ছে দৃশ্যকল্প বা উদ্দীপক। এ উদ্দীপকটি পাঠ্যবইয়ের তথ্যের ভিত্তিতে তৈরি করা হয়। পাঠ্যবইয়ের বিষয়বস্তুকে শিক্ষার্থী কতটুকু বুঝতে পেরেছে তা যাচাই করার জন্য উদ্দীপকটি তৈরি করা হয়। উদ্দীপকটির মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থী পাঠ্যবইয়ের মূল বিষয়বস্তুর মধ্যে প্রবেশ করবে।‘ক’ ও ‘খ’ প্রশ্নের উত্তর: উদ্দীপক বা দৃশ্যকল্পের ওপর ভিত্তি করে চারটি প্রশ্ন করা হয় (ক, খ, গ ও ঘ)। ‘ক’ ও ‘খ’ প্রশ্নের উত্তর দিতে গেলে একজন শিক্ষার্থীকে সাধারণত উদ্দীপকে যেতে হবে না। অর্থাৎ ‘ক’ এবং ‘খ’ প্রশ্ন দুটি উদ্দীপকের ওপর সরাসরি নির্ভরশীল নয়। তবে পরোক্ষভাবে নির্ভরশীল। অর্থাৎ উদ্দীপকটি পাঠ্যবইয়ের যে অধ্যায় বা অধ্যায়গুলোর বিষয়বস্তুর ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে, সেই অধ্যায়/অধ্যায়গুলো থেকেই ‘ক’ এবং ‘খ’ প্রশ্নটি করা হবে।‘ক’ প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার ক্ষেত্রে একজন শিক্ষার্থীকে শুধু পাঠ্যবইয়ের তথ্য মনে রাখলেই হবে। অর্থাৎ শিক্ষার্থী পাঠ্যবইয়ের কোনো তথ্য মুখস্থ করে এ অংশের উত্তর দিতে পারবে। যেমন ঈমান অর্থ কী? আধুনিক যুগকে কিসের যুগ বলা হয়? ফকির মজনু শাহ কত সালে মৃত্যুবরণ করেন? ইত্যাদি প্রশ্নের মাধ্যমে শিক্ষার্থীর স্মৃতিশক্তিকে যাচাই করা হয়। এ প্রশ্নের নম্বর বরাদ্দ ১ এবং ‘ক’ প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য এক বা দুইটি শব্দ বা বাক্যই যথেষ্ট।শিক্ষার্থী পাঠ্যবইয়ের কোনো তথ্য ভালোভাবে বুঝেছে কি না, তা যাচাই করার জন্য ‘খ’ প্রশ্নটি করা হয়। বঙ্গবন্ধুর ভাষণকে ঐতিহাসিক ভাষণ বলা হয়েছে কেন, ব্যাখ্যা করো? সামাজিক পরিবর্তনের যেকোনো একটি কারণ ব্যাখ্যা করো। জাকাতের সামাজিক উপযোগিতা ব্যাখ্যা করো ইত্যাদি প্রশ্নের মাধ্যমে শিক্ষার্থীর পাঠ্যবইয়ের কোনো তথ্য বোঝার ক্ষমতাকে মূল্যায়ন করা হয়। ‘খ’ প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীকে তার পাঠ্যবইয়ের তথ্য মনে রাখলেই হবে না, তাকে সেই তথ্য বুঝতে হবে এবং বুঝে নিজের ভাষায় উত্তর দিতে হবে। ‘খ’ প্রশ্নের নম্বর বরাদ্দ ২ এবং সর্বোচ্চ চার-পাঁচটি বাক্যের মাধ্যমে উত্তর দেওয়াটা বাঞ্ছনীয়।‘গ’ প্রশ্নের উত্তর: ‘গ’ প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য পরীক্ষার্থীকে উদ্দীপক বা দৃশ্যকল্পটি ভালো করে বুঝে পড়তে হবে। কেননা ‘গ’ অংশের উত্তর দেওয়ার জন্য শিক্ষার্থীকে উদ্দীপকের সাহায্য নিতে হবে। সাধারণত পাঠ্যবইয়ের সুনির্দিষ্ট কোনো ধারণা, সূত্র, তত্ত্ব, নিয়ম, নীতি, সংজ্ঞা ইত্যাদি শিক্ষার্থী কতটুকু বুঝতে পেরেছে, তা যাচাই করার জন্য উদ্দীপকটি তৈরি করা হয়। অর্থাৎ একজন শিক্ষার্থী পাঠ্যবইয়ের কোনো সুনির্দিষ্ট ধারণাকে উদ্দীপকের মধ্যে খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা করবে। পাঠ্যবইয়ের বাংলাদেশের অর্থনীতি/ বাস্তুসংস্থান/ ক্ষারক ইত্যাদি ধারণার প্রয়োগ করতে চাইলে উপরিউক্ত সুনির্দিষ্ট ধারণাগুলোর আলোকে উদ্দীপকটি তৈরি করা হবে। উদ্দীপকটি হবে সম্পূর্ণ নতুন এবং বাস্তব জীবনের সঙ্গে সম্পর্কিত। শিক্ষার্থী এই অপরিচিত নতুন পরিস্থিতির মধ্যে ওপরের সুনির্দিষ্ট ধারণাকে খুঁজে বের করবে। সেই ধারণাটি পাঠ্যবইয়ের তথ্যের আলোকে ব্যাখ্যা করবে এবং নতুন পরিস্থিতিতে (উদ্দীপকের মধ্যে) সেই সুনির্দিষ্ট ধারণাটি কীভাবে প্রতিফলিত হয়েছে, তা লিখবে।‘গ’ প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য শিক্ষার্থীকে তার নিজস্ব শব্দচয়ন ও বাক্যগঠন ব্যবহার করতে হবে। আগে থেকে প্রস্তুত করা কোনো নোট মুখস্থ করে এ ‘গ’ প্রশ্নের উত্তর দেওয়া সম্ভব হবে না। শিক্ষার্থী তার নিজস্ব প্রজ্ঞা ও মেধা ব্যবহার করে এ প্রশ্নের উত্তর দেবে। এ ‘গ’ প্রশ্নের জন্য নম্বর বরাদ্দ ৩ এবং উত্তর সর্বোচ্চ ৯-১০টি বাক্যে হওয়া বাঞ্ছনীয়।‘ঘ’ প্রশ্নের উত্তর: ‘ঘ’ প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার ক্ষেত্রেও পরীক্ষার্থীকে উদ্দীপক আশ্রয়ী হতে হবে। অর্থাৎ উদ্দীপকটির মধ্য দিয়ে একজন শিক্ষার্থী পাঠ্যবইয়ের মূল বিষয়বস্তুতে প্রবেশ করবে এবং পাঠ্যবইয়ের তথ্য ব্যবহার করে নিজস্ব বিচার-বিশ্লেষণের মাধ্যমে এ ‘ঘ’ প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। ধরা যাক অষ্টম শ্রেণীর বাংলা বইয়ের ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ প্রবন্ধে পাকিস্তানি সরকারের বিরুদ্ধে একটি ভাষণ কীভাবে কঠোর প্রতিবাদের অনুপ্রেরণা জুগিয়েছিল, তার ওপর ভিত্তি করে একটি উদ্দীপক তৈরি করা হয়েছে। এখন ‘ঘ’ প্রশ্নটি যদি হয় যে উদ্দীপকটি ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ প্রবন্ধের বিষয়বস্তুর পূর্ণ প্রতিনিধিত্ব করে কি না তা শিক্ষার্থী যুক্তির মাধ্যমে তুলে ধরবে, তবে শিক্ষার্থী তার পাঠ্যবইয়ের ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ প্রবন্ধের বিষয়বস্তুর বিভিন্ন দিক বর্ণনা করার চেষ্টা করবে। শিক্ষার্থী যদি বিচার-বিশ্লেষণের মাধ্যমে লিখতে পারে যে ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ প্রবন্ধ থেকেই বাঙালি পেয়েছে তার মুক্তির মূলমন্ত্র, বেঁচে থাকার প্রেরণা, দেশ স্বাধীন করার অনুপ্রেরণা ইত্যাদি ধারণা রয়েছে, তবেই শিক্ষার্থী পূর্ণ নম্বর পাওয়ার যোগ্য হবে। শিক্ষার্থী যুক্তি দিয়ে বুঝিয়ে দেবে উদ্দীপকে কোন কোন ধারণার প্রতিফলন ঘটেনি এবং কোনগুলোর ঘটেছে। অর্থাৎ পাঠ্যবইয়ের তথ্যের ভিত্তিতে সে তার উত্তরের পক্ষে যুক্তি দিতে থাকবে। কিংবা কৃষি বিষয়ের বাঁধাকপি চাষপদ্ধতি এবং সার ব্যবহার বিধিতে পাঠ্যবইয়ে যে তথ্য দেওয়া আছে, তার পরিবর্তন করে শিক্ষার্থীর কাছে চাষপদ্ধতি ও ব্যবহার বিধির যথার্থতা সম্পর্কে মতামত চাওয়া হতে পারে। শিক্ষার্থী পাঠ্যবইয়ের তথ্যের ভিত্তিতে যুক্তি দিয়ে বুঝিয়ে দেবে যে উদ্দীপকে বর্ণিত চাষপদ্ধতি এবং সার ব্যবহার বিধি ঠিক নয়। এ ‘ঘ’ প্রশ্নের নম্বর ৪ এবং উত্তর সর্বোচ্চ ১২-১৩টি বাক্যে সমাপ্ত হওয়া বাঞ্ছনীয়।ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেছেন, আগামী নির্বাচন বাংলাদেশের অস্তিত্ব রক্ষার যুদ্ধ। এ যুদ্ধে জিততে আপসহীনভাবে একাত্তরের পরাজিত শক্তিকে রুখতে হবে। আজ শুক্রবার রাজধানীর উত্তরায় বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি উত্তরা শাখার এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।মেনন বলেন, শান্তি ও অগ্রগতি এবং দেশের অসাম্প্রদায়িকতার বিরোধিতাকারীরা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ক্ষমতার পালা বদল চায় না। তারা পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় যেতে চায়।মেনন আরও বলেন, আন্দোলনের নামে নৈরাজ্য সৃষ্টি এবং মানুষ খুন করে বিএনপি পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য স্বাধীনতা বিরোধীদের কাঁধে ভর করে অবৈধ উপায়ে ক্ষমতায় যাওয়ার পথ খুঁজছে। এ দেশের মানুষ তা হতে দেবে না। অবরোধ হরতাল নতুন নয় কিন্তু আন্দোলনের নামে সন্ত্রাস সহিংসতা আন্দোলন হতে পারে না।ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী বলেন, জামায়াত একাত্তরের কায়দায় গত দুই দশক ধরে সন্ত্রাস সহিংসতা করে অসংখ্য মানুষকে হত্যা করছে। দেশের মানুষ যখন নির্বাচন নিয়ে উত্সব করছে বিএনপি-জামায়াত সারা দেশে তাণ্ডব চালাচ্ছে। নৈরাজ্য ও সহিংসতার বিরুদ্ধে পাড়ায় মহল্লায় প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান তিনি।অনুষ্ঠানে নূর আহমেদ বকুল, দীপংকর সাহা, কিশোর রায়, সাবের আহমেদ প্রমুখ বক্তব্য দেন।রোববার সকালে কমলাপুর রেলস্টেশন ইয়ার্ডে তরুণ রেলওয়ে নিরাপত্তা প্রহরী আবুল কাশেমকে প্রাণ দিতে হয়েছে। তিনি সন্দেহভাজন দুই যুবকের ব্যাগ তল্লাশি করতে চাইলে ওরা বোমা মেরে তাঁকে হত্যা করে।কয়েক মাস ধরে বিরোধী দলের আন্দোলনের সময় রেলে নাশকতা চলছে। অনেক যাত্রীর জীবন কেড়ে নেওয়া হয়েছে। তাই অতিরিক্ত সতর্কতার প্রয়োজন দেখা দেয়। কিন্তু রেল নিরাপদ করতে গিয়ে নিরাপত্তা প্রহরী নিজেই জীবন দিয়ে গেলেন। তাঁর এ আত্মত্যাগ যেমন শোকাবহ তেমনি বীরোচিত। সরকারের উচিত এই সাহসিকতার জন্য তাঁকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেওয়া এবং তাঁর পরিবারের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা।পুলিশ ও সাধারণ, নিরপরাধ মানুষ হত্যা করে কোনো রাজনৈতিক আন্দোলন সফল হতে পারে না। এভাবে দেশে ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করা যেতে পারে, কিন্তু সাধারণ মানুষের সমর্থন পাওয়া সম্ভব নয়। বিরোধী দল যদি গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলন করে, তাহলে এ ধরনের নাশকতা ও সন্ত্রাসী তৎপরতার বিরুদ্ধে প্রকাশ্য অবস্থান নিতে হবে।গত রোববার গভীর রাতে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের একটি বাসা থেকে পুলিশ ১৩৪টি ককটেল ও গানপাউডার উদ্ধার করেছে। তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের কাছে জামায়াত-শিবিরের বই, প্রচারপত্র প্রভৃতি পাওয়া গেছে। গতকাল ভোররাতে রাজশাহীর বিনোদপুর এলাকায় যৌথ বাহিনী অভিযান চালিয়ে ৬৫টি ককটেল ও পাঁচ কেজি গানপাউডার উদ্ধার করেছে। ওই এলাকাটি জামায়াত- শিবির প্রভাবিত বলে পরিচিত। দেশের বিভিন্ন স্থানে এভাবে ককটেল ও গানপাউডার পাওয়া যাচ্ছে। পরিত্যক্ত ককটেল বিস্ফোরিত হয়ে বেশ কয়েকজন শিশুর জীবন বিপন্ন হয়েছে। এসবই নাগরিকদের জন্য উদ্বেগজনক।রেলের নিরাপত্তা প্রহরী হত্যার দায়ে বোমা বহনকারী দুই যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি নাশকতায় যুক্ত অপরাধীদের শনাক্ত ও তাদের আইনের আওতায় আনা হোক।আর বিরোধী দলকে ভেবে দেখতে হবে, তারা কি গণ-আন্দোলনের পথে থাকবে, নাকি সন্ত্রাস ও নাশকতার অভিশপ্ত পথে হাঁটবে?
ডিম আগে, না মুরগি আগে?শাহরিয়ার মুঈন, ঝালকাঠি বাজারে গিয়ে যেটা আগে কিনবেন, সেটাই আগে!কার চুল বেশি শক্ত?হিটলার, পীরগাছা, রংপুর যার মাথায় টাক! চুল এত শক্ত যে কাটতে না পেরে উঠিয়ে ফেলতে হয়েছে।জনগণ কখন সকল ক্ষমতার উৎস হবে?সুমিত বড়ুয়া, চন্দনাইশ, চট্টগ্রাম ভোটের সময়।দুশ্চিন্তা+পকেট খালি=?মো. আলমগীর হোসেন, তানোর, রাজশাহী নিশ্চিন্ত!হাসি ও কান্নার মধ্যে পার্থক্য কতটুকু?ফাহিম শাহরিয়ার, মাস্টারপাড়া, ফেনী খুবই কম। এতই কম যে একজন ব্যক্তির পক্ষে দুটোই করা সম্ভব!সেরা প্রশ্নভোট কী?মো. সালমান বিন আবদুল্লাহপার্বতীপুর, দিনাজপুর জনগণের এমন একটা অধিকার, যেটার প্রয়োগের জন্য পাঁচ বছর ধরে শাস্তি পেতে হয়।অভিনন্দন সালমানআপনি পাচ্ছেন ১০০ টাকার মুঠোফোন রিচার্জ।পোস্টকার্ডের ওপর লিখুন: সবজান্তা সমীপেষু, রস+আলো, প্রথম আলো, সিএ ভবন, ১০০ কাজী নজরুল ইসলাম অ্যাভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।বেশির ভাগ সুপার হিরোদের সৃষ্টিই কমিক বইয়ের পাতায়। কিন্তু কৃষের সৃষ্টি কোনো কমিকের পাতায় নয়, বরং সেলুলয়েডের ফিতায়, বলিউডের এক ছবির গল্পেই। তবে এই গল্পের পেছনেও রয়েছে আরেক গল্প। সেই লুকিয়ে থাকা গল্পটাই আগে বলি।১৯৬২ সালে সত্যজিৎ রায় ‘বঙ্কুবাবুর বন্ধু’ নামে একটি বিজ্ঞান কল্পকাহিনি লিখেছিলেন, যেটা রায়দের পারিবারিকভাবে প্রকাশিত শিশুতোষ সন্দেশ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। এই কল্পগল্পে সত্যজিৎই প্রথম এমন এক এলিয়েনকে পৃথিবীতে নিয়ে আসেন, যে কিনা সদয় ও বন্ধুভাবাপন্ন। অন্য সব গল্পে ভিনগ্রহ থেকে আসা এলিয়েনদের সব সময় ভয়ংকর, বিধ্বংসী আর শত্রুভাবাপন্ন হিসেবেই দেখানো হয়। ছবির জগতের প্রতাপশালী এই পরিচালকের মনে ‘বঙ্কুবাবুর বন্ধু’ গল্পের কাহিনি নিয়েই একটি ছবি বানানোর ইচ্ছা জাগল। ছবির চিত্রনাট্যও তৈরি করে ফেললেন সত্যজিৎ। ছবির নাম রাখলেন দ্য এলিয়েন। কিন্তু যখন সবকিছুই প্রস্তুত, সত্যজিৎ জানতে পারলেন যে দ্য এলিয়েন ছবির চিত্রনাট্যের স্বত্ব তাঁর নামে আর নেই। এমনকি কলম্বিয়া পিকচার্স চিত্রনাট্যের জন্য অগ্রিম যে টাকা দিয়েছেন, সেটাও হাতিয়ে নিয়ে লাপাত্তা হয়েছে সেই মানুষটি। পরবর্তী সময়ে সত্যজিৎ রায় চিত্রনাট্যের স্বত্ব উদ্ধার করতে পারলেও দ্য এলিয়েন ছবির প্রজেক্টের সেখানেই সমাপ্তি হয়। কিন্তু ১৯৮২ সালে মুক্তি পাওয়া স্টিভেন স্পিলবার্গের ই.টি. দ্য এক্সট্রা টেরেস্ট্রিয়াল ছবিটি সত্যজিতের সেই দ্য এলিয়েন-এর কথাই আবার মনে করিয়ে দেয় আমাদের। ই.টি. মুক্তি পাওয়ার পরপরই ছবিটির সঙ্গে সত্যজিতের লেখা গল্পের মিল খুঁজে পান অনেকে। কারণ, ছবিটির চিত্রনাট্যের মাইমোগ্রাফ কপি হলিউডে ছড়িয়ে পড়েছিল দ্য এলিয়েন ছবির কাজ শুরু হওয়ার সময়। তবে হলিউডের অস্কারজয়ী এই পরিচালক নিছক কাকতালীয় ঘটনা বলে উড়িয়ে দিয়েছিলেন ব্যাপারটি। অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করে সংবাদমাধ্যমকে স্পিলবার্গ বলেছিলেন, ‘যখন সত্যজিৎ রায়ের চিত্রনাট্য হলিউডে ঘোরাঘুরি করছিল, তখন আমি ছিলাম হাইস্কুলের ছাত্র।’এরপর কেটে গেছে আরও দুই যুগ। তখনো ভারতীয় ছবি বিজ্ঞান কল্পকাহিনির ছোঁয়া পায়নি। শুরুটা হলো বাপ-বেটার প্রজেক্ট দিয়েই। ২০০৩ সালে মুক্তি পেল রাকেশ রোশন পরিচালিত এবং প্রযোজিত বলিউডের প্রথম সাই ফাই মুভি কোই মিল গ্যায়া। হূতিক রোশন, প্রীতি জিনতা ও রেখা অভিনীত সিনেমাটি বক্স অফিসে ব্যাপক সাফল্য জুটিয়ে অধিকাংশ চলচ্চিত্রপ্রেমীদের মন জয় করে নিল। ছবির ভিনগ্রহের বাসিন্দা সেই ‘জাদু’কে আপন করে নিল বলিউডবাসী। কিন্তু ছবির কাহিনি আবারও চেনাচেনা লাগে। সত্যজিতের চিত্রনাট্য কি তবে হলিউডে ঘোরাঘুরি করে দুই যুগ পর বলিউডে এল? ঠিক তা-ই। এই ছবির গল্পও আসলে সেই সত্যজিতের দ্য এলিয়েন-এর ছায়া অবলম্বনেই নির্মিত। তবে রাকেশ রোশন এই ছবি দিয়ে সৃষ্টি করেছেন বলিউডবাসীর জন্য নতুন এক সুপার হিরো চরিত্র। বলিউডের প্রথম সুপার হিরো কৃষ। কোই মিল গ্যায়ার গল্প যেখানে শেষ, সেখান থেকেই তো কৃষ-এর সৃষ্টি।২০০৬ সালে কোই মিল গ্যায়ার সিক্যুয়েল হিসেবে পরিচালক ও প্রযোজক রাকেশ রোশন বড় পর্দায় বলিউডের প্রথম সুপার হিরো মুভি কৃষ নিয়ে হাজির হন সবার সামনে। ছবিটির একটি উল্লেখযোগ্য দিক ছিল জাতীয় পুরস্কার জয় করে নেওয়া এর স্পেশাল ও ভিজ্যুয়াল ইফেক্ট। এর আগে কখনো বলিউডে এত বিশাল পরিসরে এবং এত ব্যয়বহুল ইফেক্ট ব্যবহার করতে দেখা যায়নি। প্রথমটির মতো এটিও বক্স অফিসে রেকর্ড সাফল্য পায়। বিশেষ করে সুপার হিরো ‘কৃষ’ দারুণ জনপ্রিয় একটি চরিত্র হয়ে ওঠে বাচ্চাদের মধ্যে। তবে এরপর বেশ লম্বা একটা বিরতি নিলেন রাকেশ রোশন। প্রায় সাত বছর পর দেওয়ালি সপ্তাহে মুক্তি পাচ্ছে রাকেশ রোশন পরিচালিত এ বছরের অন্যতম প্রতীক্ষিত কৃষ-এর সিক্যুয়েল ছবি কৃষ থ্রি। তবে আগের দুটি থেকেও বিশাল পরিসরে এবার হাজির হচ্ছে কৃষ থ্রি। কেন্দ্রীয় চরিত্রে হূতিক রোশন তো থাকছেনই। তবে এবার সত্যিকারের এক সুপার হিরোর সঙ্গে দেখা যাবে ভয়াবহ এক ভিলেনকেও। ছবিতে ভিলেন চরিত্রে দেখা যাবে বিবেক ওবেরয়কে। প্রিয়াংকা ছাড়াও কায়া নামে আরেকটি প্রধান নারী চরিত্রে অভিনয় করেছেন গ্যাংস্টারখ্যাত কঙ্গনা রনৌত। আগের দুটি থেকেও খুব শক্তিশালী ও ব্যয়বহুল স্পেশাল ইফেক্ট ব্যবহার করা হয়েছে নতুন কৃষ থ্রিতে। এই বিভাগে কোনো কার্পণ্য করেননি রাকেশ। এ ছাড়া এবারের পর্বের স্পেশাল এবং ভিজ্যুয়াল ইফেক্টের দায়িত্বে আছে জাতীয় পুরস্কার জিতে নেওয়া শাহরুখ খানের প্রতিষ্ঠান রেড চিলিস ভিএফএক্স। সব গানের সুরকার আগের মতোই রাজেশ রোশন ও আবহসংগীতে সেলিম-সোলাইমান। অফিসিয়াল ট্রেলর দেখতে দেখতে প্রতীক্ষার প্রহর গোনা শেষ। নতুন অভিযানে কৃষ এবার কেমন বিপদের মুখোমুখি হচ্ছে? এবারের চ্যালেঞ্জটা কি আগেরবারের চেয়েও বেশি? সব প্রশ্নের উত্তর মিলবে আগামীকাল।সাজিদুল হকইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, মুম্বাই মিরর, ইন্ডিয়া টাইমস, এনডিটিভি, জিনিউজ, উইকিপিডিয়া অবলম্বনেনির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের দাবিতে বিএনপি যে আন্দোলন করছে তাতে একাত্মতা ঘোষণা করেছেন জাতীয় পার্টি থেকে সদ্য বহিষ্কৃত কাজী জাফর আহমদ। তিনি বলেন, এই সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই নির্বাচন হতে হবে।আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করেন কাজী জাফর। চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে ওই বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।বিএনপির সঙ্গে আন্দোলনে মাঠে নামবেন কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে কাজী জাফর বলেন, এ ব্যাপারে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।এদিকে গতকাল জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ কাজী জাফর আহমদকে দল থেকে বহিষ্কার করেন। এরপরই কাজী জাফর এরশাদকে পাল্টা বহিষ্কারের ঘোষণা দেন।বৃহত্তর ফরিদপুর জেলার ২৭টি উপজেলায় দরিদ্র জনগোষ্ঠীর আর্থসামাজিক উন্নয়নে বাস্তবায়িত বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের (বিআরডিবি) আওতায় ৬৭০ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারীর চাকরি রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের জন্য দীর্ঘ ১০ বছর আবেদন-নিবেদন করেও কোনো ফল পাওয়া যায়নি। এমতাবস্থায় উল্লিখিত কর্মকর্তা ও কর্মচারীর চাকরি রাজস্ব খাতে স্থানান্তরে আবেদন জানাচ্ছি।ভুক্তভোগী কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ, ফরিদপুর।
বস, আমি একজন লোকাল জুনিয়র সমস্যা সমাধানবিদ। নির্ধারিত ফির বিনিময়ে বিভিন্নজনের সমস্যা সমাধান দিতাম। কিন্তু আপনি যেদিন বিনা খরচায় সমাধান দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন, সেদিন থেকে আমার ব্যবসায় লালবাতি জ্বলে উঠেছে। আমার চেম্বারে এখন আর কেউ আসছে না। খুব অর্থকষ্টে আছি। এখন আমি কী করব?মো. জাহাঙ্গীর আলম, বিশ্বনাথপুর, গৌরীপুর, ময়মনসিংহএই ব্যাপার! এটা কোনো সমস্যা হলো! আপনি অন্য ব্যবসা শুরু করুন। সেই ব্যবসাও আপনার হাতের নাগালের মধ্যে আছে। আপনার ব্যবসায় যে লালবাতি জ্বলছে, আপনি ওগুলো বিক্রি করা শুরু করুন। নতুন লালবাতির ব্যবসা! ব্যবসাটা ঠিকমতো চালাতে পারলে টাকায় কিন্তু লালে লাল হয়ে যাবেন!গত দুই দিনে পৃথক তিনটি ঘটনায় শাহজালাল (র.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ২০ কেজি সোনা উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার হওয়া সোনার মূল্য সাত কোটি ৬০ লাখ টাকা। এসব ঘটনায় দুজনকে আটক করা হয়েছে।ঢাকা কাস্টমস হাউসের সহকারী কমিশনার কামরুল হাসান জানান, গতকাল বুধবার সকাল নয়টার দিকে আমিরাত এয়ারলাইনসের একটি বিমানে করে দুবাই থেকে ঢাকায় ফেরেন সোহেল আহমেদ। তাঁর গতিবিধি দেখে সন্দেহ করেন কর্মকর্তারা। এরপর মালামাল ও তাঁর শরীরে তল্লাশি করে ২৪টি সোনার বার উদ্ধার করা হয়। সোহেল আহমেদ তাঁর ব্যাগে খাবারের কৌটার ভেতরে বারগুলো লুকিয়ে রাখেন। উদ্ধার হওয়া সোনার ওজন দুই কেজি ৮০০ গ্রাম। এর মূল্য সোয়া কোটি টাকা।শুল্ক কর্তৃপক্ষ জানায়, গত মঙ্গলবার রাতে হংকং থেকে বিমানের একটি উড়োজাহাজ ঢাকায় এসে পৌঁছায়। রাত সাড়ে ১১টার দিকে ওই বিমানের শৌচাগারের ভেতর থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় ১৭ কেজি সোনা আটক করা হয়। বিমানের ডিসি-১০ উড়োজাহাজের ৩ ও ৬ নম্বর শৌচাগারের ভেতর থেকে এই সোনা উদ্ধার করা হয়। ৩ নম্বর শৌচাগারে কালো কাপড়ে মোড়নো দুটি প্যাকেট ছিল। ৬ নম্বর শৌচাগারে কালো কাপড়ে মোড়ানো আরও একটি প্যাকেট পাওয়া যায়। ওই প্যাকেটগুলো থেকে মোট ১৪৬টি সোনার বার উদ্ধার হয়েছে। উদ্ধার হওয়া সোনার মূল্য ছয় কোটি টাকা।এর আগে মঙ্গলবার সকালে জাহাঙ্গীর হোসেন (৪৭) নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে ছয়টি বার ও ৪৭টি হার্ডডিস্ক আটক করা হয়।জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে ‘বহিষ্কারের’ ঘোষণা দেওয়ার পর এবার নিজেকে পার্টির ‘নির্বাচিত চেয়ারম্যান’ হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন কাজী জাফর আহমেদ। আজ শুক্রবার রাতে কাজী জাফরের ব্যক্তিগত সহকারী গোলাম মোস্তফার পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এমনটাই দাবি করা হয়েছে।বিবৃতিতে বলা হয়, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য, দলীয় সংসদ সদস্য, ভাইস চেয়ারম্যান এবং জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্যদের এক যৌথ সভা পার্টির সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী কাজী জাফর আহমেদের সভাপতিত্বে গোলাম মসিহর গুলশানের বাসায় অনুষ্ঠিত হয়।বিবৃতিতে বলা হয়, সভায় ‘ডিগবাজি’ ও ‘জাতির সাথে বিশ্বাসঘাতকতার’ কারণে দলীয় চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে অপসারণের পরিপ্রেক্ষিতে কাজী জাফর আহমেদকে আগামী কাউন্সিল পর্যন্ত পার্টির চেয়ারম্যান নির্বাচিত করা হয়। কিছুদিন আগে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য পদ থেকে পদত্যাগকারী গোলাম মসিহকে মহাসচিবের দায়িত্ব দেওয়া হয়।এ ছাড়া গঠনতন্ত্রের ৩৭ দ্বারা অনুযায়ী আগামী ১৮ জানুয়ারি বেলা ১১টায় পার্টির কাউন্সিল অনুষ্ঠানের জন্য সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় হয়।প্রসঙ্গত, গতকাল বৃহস্পতিবার এরশাদ কাজী জাফরকে বহিষ্কারের ঘোষণা দিলে কাজী জাফর পাল্টা এরশাদকে বহিষ্কারের ঘোষণা দেন। নির্বাচনকালীন সরকারে যোগ দেওয়া নিয়ে এরশাদ ও কাজী জাফরের মধ্যে মতবিরোধের জের ধরে বহিষ্কার-পাল্টা বহিষ্কারের ঘটনা ঘটে।প্রযোজক যেন পেয়ে গেছেন সোনার ডিম পাড়া হাঁসের দেখা। ‘ট্রিপল সেঞ্চুরি’র পথে ছুটছে ধুম থ্রি। এরই মধ্যে ২১১ কোটি রুপি আয় করা ছবিটি যে গতিতে এগোচ্ছে, তাতে ৩০০ কোটি রুপির বর্ষণের পূর্বাভাসই মিলছে। মাত্রই কদিন আগে গড়া শাহরুখ খানের রেকর্ডটাও ভেঙে দিতে চলেছেন আমির খান। শাহরুখের চেন্নাই এক্সপ্রেস ২১৬ কোটি রুপি আয় করে ভেঙে দিয়েছিল আমিরেরই থ্রি ইডিয়টস ছবির রেকর্ড।পরিবেশকদের সূত্র থেকে জানা গেছে, ধুম থ্রির এই আয়ের হিসাব শুধু ভারতের থিয়েটারগুলোতে মুক্তি পাওয়া হিন্দি সংস্করণের আয়। অন্যান্য ভাষায় ডাব করে মুক্তি দেওয়া থেকে আয় হয়েছে আরও ১০ কোটি। ভারতের বাইরে থেকেও নাকি আয় করেছে ১০০ কোটি। সেই হিসাবে সব মিলিয়ে ধুম থ্রি আসলে ট্রিপল সেঞ্চুরি হাঁকিয়েই ফেলেছে! আইএএনএস।
তথ্য ও বিনোদনকুয়াশাসত্য বা রহস্য কাহিনি নিয়েকথাবন্ধু শারমীনের সঙ্গে[রাত ১১.২০-২.০০]সেতুর রেলিং নেই। মাঝখানে হাঁ হয়ে আছে গর্ত। গাড়ি উঠলেই দুলতে থাকে। প্রায় সময় লেগে আছে দুর্ঘটনা। কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের জাদিমুরা সেতুর এমন হাল এক বছর ধরে। এর মধ্যেই প্রতিদিন চলাচল করছে মালবাহী তিন শতাধিক ট্রাক ও যাত্রীবাহী বাস। জাদিমুরার মতো এই সড়কের টেকনাফ অংশে আরও সাতটি সেতু ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।সরেজমিনে দেখা গেছে, পৌর এলাকার কায়ুকখালীয়া ও হেচ্ছারখাল, সদর ইউনিয়নের বরইতলী, হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমুরা, আলীখালী ও ওয়াব্রাং, হোয়াইক্যং ইউনিয়নের লম্বাবিল এবং কাটাখালী মাজারসংলগ্ন সেতুু ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। এসব সেতুর কোনোটির মাঝখানে গর্ত। কোনোটিতে রেলিং নেই। আবার কোনোটি নড়বড়ে অবস্থা। এসব সেতুর ওপর দিয়েই প্রতিদিন কাঠ, মাছ, বেত, আচার, পান, সুপারি, সিমেন্ট, রডসহ বিভিন্ন ধরনের মালামাল নিয়ে ২০ থেকে ২৫ টন ওজনের ট্রাক ও দূরপাল্লার যাত্রীবাহী বাস চলাচল করছে।টেকনাফ পৌরসভার বাসিন্দা ও স্থলবন্দরের ব্যবসায়ী আবুল হাশেম বলেন, এসব সেতুর ওপর দিয়ে মালামালভর্তি ট্রাক পারাপারে অনেক সময় ভাঙা অংশে আটকে যায়। তখন মালামাল আবার অন্য ট্রাকে বোঝাই করে নিয়ে যেতে হয়। এতে করে খরচ দ্বিগুণ হয়। লোকসান গুনতে হয় ব্যবসায়ীদের। এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, ঢাকা, কুমিল্লা, সিলেট, নারায়ণগঞ্জ, বগুড়া, রংপুর, দিনাজপুর ও কুড়িগ্রামগামী কয়েক শ ট্রাক ও বাস চলাচল করে।স্থানীয় লোকজন জানান, বিভিন্ন সময় সড়ক সম্প্রসারণ করা হলেও সেতুগুলোর প্রস্থ আগের অবস্থায় থেকে গেছে। সরু সেতুর ওপর দিয়ে একসঙ্গে একাধিক যানবাহন চলাচল করতে গিয়ে অনেক সময় রেলিং ভেঙে যানবাহন খাদে পড়ে দুর্ঘটনা ঘটছে।টেকনাফ থানা সূত্র জানায়, ১ অক্টোবর রাতে জাদিমুরা সেতু থেকে পড়ে নিহত হন মোটরসাইকেল আরোহী নুরুল আলম (২১)। তিনি হ্নীলার ওয়াব্রাং এলাকার ফজলুর রহমানের ছেলে। সেতুর রেলিং না থাকায় রাতের আঁধারে তিনি খালে পড়ে যান। এ ছাড়া ১৩ অক্টোবর বরইতলী সেতুতে বাস ও অটোরিকশার সংঘর্ষে ১৭ জন আহত হয়। সেতুতে সৃষ্ট গর্ত পাশ কাটাতে গিয়ে এ সংঘর্ষ ঘটে।ট্রাকচালক নবী হোসেন বলেন, এ সড়ক দিয়ে রাতে বেশি পণ্যবোঝাই ট্রাক চলাচল করে। তাই দিনের চেয়ে রাতে দুর্ঘটনা বেশি হয়। তা ছাড়া সেতুর মাঝখানের গর্তে গাড়ি আটকে যায় প্রায় সময়।টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ফরহাদ বলেন, সেতুগুলোতে রেলিং না থাকায় বেশ কয়েকটি দুর্ঘটনা ঘটেছে। রাতে চলাচল বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।এ প্রসঙ্গে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের টেকনাফের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. আবদুর রশিদ বলেন, সেতুগুলো স্বাধীনতার আগে ও পরে বিভিন্ন সময় নির্মিত হয়েছে। এ জন্য এখন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। এ ব্যাপারে ঝুঁকিপূর্ণ সেতুর তালিকা তৈরি করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।নানা কারণে বিতর্কিত হওয়া বেশ কিছু নেতাকে আগামী নির্বাচনের দলীয় মনোনয়ন দেয়নি আওয়ামী লীগ। নবম সংসদের জয়ী হওয়া মন্ত্রী ও সাংসদেরা যেমন মনোনয়ন থেকে বাদ পড়েছেন, তেমনি শামীম ওসমানের মতো বিতর্কিত নেতারা মনোনয়ন পেয়েছেন।পদ্মা সেতুর কেলেঙ্কারির কারণে মন্ত্রিত্ব হারানো আবুল হোসেন মাদারীপুর-৩ আসন থেকে এবার মনোনয়ন পাননি। ওই আসনে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিমকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।এ ছাড়া সর্বশেষ সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে জয়ী হয়েছিলেন সারাহ বেগম কবরী। এবার ওই আসনে শামীম ওসমানকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।সাভারের রানা প্লাজা ধসের ঘটনায় সংশ্লিষ্ট বিতর্কিত স্থানীয় সাংসদ (ঢাকা-১৯) তৌহিদ জং মুরাদকেও মনোনয়ন তালিকায় রাখা হয়নি। এই আসনে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে ডাঃ এনামকে ।রেলে নিয়োগ নিয়ে ঘুষ বাণিজ্য ও অর্থ কেলেঙ্কারির ঘটনায় বিতর্কিত সুরঞ্জিত সেনগুপ্তকে মনোনয়ন দেওয়া হবে কি না তা নিয়ে জল্পনা-কল্পনা ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত সুনামগঞ্জ-২ আসনে তাঁকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। এদিকে সর্বশেষ মন্ত্রিসভার যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী আহাদ আলী সরকার এবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাননি। কয়েকটি আসনে কোনো প্রার্থী দেয়নি আওয়ামী লীগ। কুষ্টিয়া-২, ঢাকা ৮ ও ১৭ এবং চট্টগ্রামের কয়েকটি আসন ফাঁকা রাখা হয়েছে।বছরের শেষ দিন উপলক্ষে কয়েকটি টিভি চ্যানেল আয়োজন করেছে বিশেষ অনুষ্ঠান।সংগীতানুষ্ঠান ‘সেলিব্রিটিং নিউ ইয়ার’ প্রচারিত হবে দেশ টিভিতে রাত পৌনে ১০টায়। গান গাইবেন আলিফ আলাউদ্দীন, আরমীন মুসা, রমা ও নেদা। এটিএন বাংলায় রাত ১১টায় প্রচারিত হবে ‘১৩ গেল ১৪ এল’। ২০১৩ সালের শেষ ঘণ্টা স্মরণীয় করে রাখতে সাজানো হয়েছে অনুষ্ঠানটি। উপস্থাপনা করেছেন খন্দকার ইসমাইল। গান গেয়েছেন মাকসুদ, বিপ্লব, হাসান, আঁখি আলমগীর, রাফাত, আরফিন রুমী, খেয়া, আসিফ ও শফি মন্ডল। থাকছে নাচ। মাছরাঙা টেলিভিশনে ‘সালতামামি ২০১৩’ প্রচারিত হবে রাত সাড়ে ১১টায়। রাত দেড়টায় হবে ‘বাউল গানে বর্ষবরণ’ অনুষ্ঠান। ‘বৈশাখীর সেরা গান’ রাত ১১টায় প্রচারিত হবে বৈশাখী টিভিতে।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীপাপেট প্রদর্শনী। আয়োজন করেছে নাট্যকলা ও চলচ্চিত্র বিষয়ক বিভাগ। স্টুডিও থিয়েটারে। সন্ধ্যা সাতটায়।ছায়ানট সংস্কৃতি-ভবন, ধানমন্ডিবিশ্বনাটকের যূথ উৎসব। আগরতলার নাট্যভূমির নাটক মানিব্যাগ। সন্ধ্যা সাতটায়।জাতীয় জাদুঘর, শাহবাগআমারে তুমি অশেষ করেছ। চিত্রনায়িকা কবরীর চলচ্চিত্রজীবন ও রাজনৈতিক জীবনের স্থিরচিত্র ও বিভিন্ন ছবির গানের ভিডিও ক্লিপিংস নিয়ে প্রদর্শনী। চলবে ২ অক্টোবর পর্যন্ত।গ্যালারি কায়া, উত্তরাগৌতম চক্রবর্তীর চিত্রকলা প্রদর্শনী ‘আমি’। চলবে ১১ অক্টোবর পর্যন্ত।বেঙ্গল শিল্পালয়, ধানমন্ডিএস এম সুলতানের প্রদর্শনী ‘অদেখা সুষমা’। চলবে ১১ অক্টোবর পর্যন্ত।গ্যালারি টোয়েন্টি ওয়ান, ধানমন্ডিশাহাবুদ্দিন আহমেদের চিত্রকলা প্রদর্শনী ‘যোদ্ধা। চলবে ১১ অক্টোবর পর্যন্ত।অ্যাথেনা গ্যালারি, উত্তরাইউনিটি অব সোলস। নয়জন বাংলাদেশী আর আটজন পাকিস্তানী শিল্পীর চিত্রকর্ম নিয়ে প্রদর্শনী। চলবে ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত।বলাকা সিনেওয়ার্ল্ডতবুও ভালোবাসি ও মন তোর জন্য পাগল। দুপুর সাড়ে ১২টা, বেলা সাড়ে তিনটা, সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা ও রাত নয়টায়।স্টার সিনেপ্লেক্স নিঃস্বার্থ ভালোবাসা: সকাল ১০টা ৫০, দুপুর একটা ৪০, বিকেল চারটা ও সন্ধ্যা সাতটায়। ডায়ানা: বেলা সোয়া ১১টা, পৌনে দুইটা, বিকেল পৌনে পাঁচটা ও সন্ধ্যা সোয়া সাতটায়। রেড টু: বেলা ১১টা, দুপুর দেড়টা ও বিকেল সোয়া পাঁচটায়। আর.আই.পি.ডি. থ্রিডি: বেলা ১১টা, দুপুর একটা ৫, বেলা তিনটা ১০ ও সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায়। ওজ গ্রেট অ্যান্ড পাওয়ারফুল থ্রিডি: বিকেল সাড়ে চারটা ও সন্ধ্যা সাতটায়।রাউজান-ফটিকছড়ি উপজেলার সংযোগস্থল ‘হচ্ছার ঘাট’ এলাকায় সর্তা খালের ওপর একটি সেতু আমূল পরিবর্তন আনতে পারে দুই উপজেলার যোগাযোগ ব্যবস্থায়। ফটিকছড়ির খিরাম ও রাউজানের হলদিয়া গ্রামের সীমানা ঘেঁষে প্রবাহিত সর্তার ওপর সেতুটি হলে উভয় উপজেলার অন্তত ৫০ হাজার মানুষ উপকৃত হবে বলে আশা করছেন এলাকাবাসী।এলাকাবাসী জানান, ফটিকছড়ির পাহাড়ি এলাকা বর্মাছড়ি, কাউখালী, খিরামের চৌমুহনী বাজার, দৌলত মুন্সিরহাট, ফুলতলি এবং রাউজানের মাদম্যেরহাট, বউজ্যেরহাটসহ আশপাশের প্রায় ৫০ হাজার মানুষ ‘হচ্ছার ঘাট’ হয়ে দুই উপজেলায় যাতায়াত করে।স্বাধীনতার পর থেকে এলাকাবাসী সেতুটি নির্মাণের জন্য জনপ্রতিনিধিদের কাছে দাবি জানিয়ে আসছেন। কিন্তু কোনো ফল হয়নি। সম্প্রতি এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর কাছেও ই-মেইলে আবেদন জানানো হয়েছে।সরেজমিনে দেখা যায়, প্রতিদিন শিক্ষার্থীসহ বিপুলসংখ্যক নারী-পুরুষ খালের হাঁটুপানি ডিঙিয়ে দুর্ভোগের মধ্যে গন্তব্যে যাতায়াত করছে দুই পারের লোকজন।খিরাম এলাকার বাসিন্দা মুহাম্মদ আলমগীর ও মুহাম্মদ ফরিদ জানান, শুকনা মৌসুমে খালে পানি কম থাকায় নৌকা চলে না। তাই এভাবে হাঁটুপানি ভেঙে যাতায়াত করতে হয়। কিন্তু বর্ষা মৌসুমে খালে পানি বেশি থাকায় নৌকায় করে খাল পার হতে হয়। আর তখন কষ্টের সীমা থাকে না। ঝুঁকিও থাকে বেশ।খিরাম কাদেরিয়া মঈনীয়া দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক দিদারুল আলম এবং শিক্ষার্থী আকলিমা নাহার জানান, উত্তর হলদিয়া গ্রামে কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান না থাকায় সেখানকার শিক্ষার্থীরা এই ঘাট পার হয়ে খিরাম গ্রামে এসে পড়ালেখা করে। কিন্তু যোগাযোগ ব্যবস্থা খারাপ হওয়ায় পানি ও কাদা মাড়িয়ে মাদ্রাসায় আসতে হয়। অনেক সময় পানিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের কাপড় ও বইপত্র ভিজে যায়। এখানে একটি সেতু হলে এমন দুর্ভোগ থেকে বাঁচা যেত।এলাকার প্রবীণ শিক্ষক শেখ মুহাম্মদ আবদুল্লাহ ও রাউজানের মাদম্যেহাটের ব্যবসায়ী বদিউল আলম বলেন, যোগাযোগ ব্যবস্থা খারাপ হওয়ায় এলাকায় উৎপাদিত ফলমূল কম দামে এলাকায়ই বিক্রি করতে হয়। সেতু নির্মাণের মাধ্যমে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটলে এলাকার কৃষক এবং ব্যবসায়ীরা লাভবান হবেন। সার্বিকভাবে উভয় উপজেলার, বিশেষ করে খালের দুই পারের গ্রামগুলোর বাসিন্দাদের জীবনযাত্রার মানও উন্নত হবে।জানতে চাইলে ফটিকছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান আফতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ইচ্ছার ঘাটে সেতু নির্মাণ করা এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি। এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে চাহিদাপত্র পাঠানো হবে।উপজেলা প্রকৌশলী সচী দুলাল বিশ্বাস বলেন, এলাকায় সেতু নির্মাণের সম্ভাব্যতা যাচাই করে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হবে।বল পায়ে মানুষকে মুহূর্তের পর মুহূর্ত মোহাবিষ্ট করে রাখেন তাঁরা। পায়ের ছোঁয়ায় সবুজ ময়দানে আঁকেন একের পর এক নান্দনিক শিল্প। বহুদিন ধরেই গোল তাঁদের পোষা বিড়াল। তাঁদের মধ্যে কে সেরা—এ নিয়েও এন্তার বিতর্ক! ফলে তাঁদের অনুপস্থিতি স্বাভাবিকভাবেই দর্শকের মধ্যে সৃষ্টি করে শূন্যতা। গ্যালারিতে ভেসে বেড়ায় ‘কী নেই, কী যেন নেই’-এর অসীম হাহাকার! বুঝতেই পারছেন কাদের কথা হচ্ছে। একজন বার্সার নিউক্লিয়াস—লিওনেল মেসি, অন্যজন রিয়াল মাদ্রিদের পাওয়ার হাউস—ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। সাম্প্রতিক সময়ে দুজনই পড়েছেন ইনজুরি ফাঁড়ায়।বুধবার বার্নাব্যুতে অনুষ্ঠিত গ্যালাতাসারাইয়ের বিপক্ষে মাঠে নামতে পারেননি রোনালদো। খেলা দেখতে হয়েছে ভিআইপি বক্সে বসে। পা দুটো বোধ হয় নিশপিশই করছিল ‘সিআর সেভেনে’র।  গোলের সংখ্যা বাড়িয়ে নেয়ার সুযোগ সামনের ম্যাচেও মিলছে না। শনিবার ভ্যালাদোলিদের বিপক্ষেও তাঁকে থাকতে হচ্ছে দর্শক হয়েই। চোট প্রায় সেরে গেছে। অনুশীলনেও ফিরেছিলেন। তবে এখনো কিছুটা অস্বস্তি থেকে গেছে। তাই ঝুঁকি নিতে চান না কার্লো আনচেলেত্তি।রিয়াল কোচ বলেছেন, ‘না, আগামীকাল ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো খেলবে না। কারণ, ও ভালো বোধ করছে না। সকালে স্ক্যান করিয়েছিলাম। পেশি ঠিক হলেও ঠিক স্বস্তি বোধ করছে না। এ কারণে বেশিক্ষণ অনুশীলনও করতে পারেনি। ফলে কোনো ঝুঁকি নিতে চাই না। এতে করে সে ১৫ দিন সময় পাবে। ফলে পরবর্তী লিগ ম্যাচ খেলতে ভালো প্রস্তুতি নিতে পারবে।’ রোনালদোর চেয়ে ইনজুরি বেশি ভোগাচ্ছে মেসিকে। চলতি মৌসুমে বেশ কয়েকবার ইনজুরির ফাঁড়াতে পড়তে হয়েছে চারবার ফিফা বর্ষসেরাকে। মেসি-ভক্তদের জন্য ইতিবাচক খবর—দ্রুতই সেরে উঠছেন মেসিও। সব ঠিকঠাক থাকলে জানুয়ারিতে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের বিরুদ্ধে দেখা মিলতে পারে খুদে জাদুকরের।প্রতিপক্ষের জালে বল জড়ানো যার নেশা, তিনি কি করে এতদিন থাকতে পারে মাঠের বাইরে? ফলে মাঠে ফেরার জোর তত্পরতা চলছে। হ্যামস্ট্রিং চোট কাটিয়ে উঠতে এরই মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে প্রথম ধাপ। চিকিত্সার অংশ হিসেবে মেসি এখন আর্জেন্টিনায়। বার্সেলোনার নিজস্ব ওয়েবসাইটে জানানো হয়েছে, ‘সর্বশেষ পরীক্ষায় দেখে গেছে, ওর ইতিবাচক উন্নতি হচ্ছে।’ তবে এই গ্রহের সেরা দুই ফুটবলার জাদু দেখতে আরও অপেক্ষাই করতে হচ্ছে।ফেসবুকে কার যেন ছবিতে দেখি হলুদ সরষের খেত। ব্যস মনে হলো, নিজেও দেখে আসি না। প্রথমে নরসিংদী যাব ভেবেও পরে চলে গেলাম ঢাকার কাছের সিরাজদিখান। ওদিকটায় শীত এবার খুব বেশি। শুধু কি শীত, সঙ্গে কুয়াশাও। সকাল গিয়ে দুপুর, তারপর সন্ধ্যা নামে কিন্তু কুয়াশার চাদর সরে সূর্যের দেখা মেলে না। সকাল ১০টার দিকে ঢাকা থেকে আমাদের যাত্রা শুরু। আমাদের নগর কুয়াশায় ঢাকা হলেও কাছের মানুষটাকে ঠিকই দেখা যায়। কিন্তু বাবুবাজারের কাছের বুড়িগঙ্গা দ্বিতীয় সেতু পার হয়ে মাওয়া রোডে পৌঁছতেই এমন অবস্থা যে কুয়াশার জন্য এক হাত দূরের কিছু দেখা যাচ্ছিল না। এভাবেই আমরা ধলেশ্বরী নদীর বুকের জোড়া সেতুর শেষেরটায় গিয়ে যাত্রাবিরতি টানি।নদীতে পানি কম আর তার ডানে-বামে পুরো এলাকাজুড়ে সরষেখেত। প্রায় আধ ঘণ্টা এখানে ধলেশ্বরী সেতুর ওপর দাঁড়িয়ে সূর্যের অপেক্ষা করে ফের যাত্রা শুরু করি।শৈত্যপ্রবাহ যেন গায়ে হিম ধরিয়েছে। শীতের সে তীব্রতা গায়ে নিয়ে আমরা এবার সিরাজদিখানের পথ ধরি। এখানে একপাশে ইছামতী নদী, আর অন্য পাশে দিগন্তজোড়া হলুদ মাঠ। যতই সামনে এগোচ্ছি সরষে ফুলের সুবাসে আমোদিত হচ্ছি। এভাবেই আমরা বেজের হাট, বাসাইল হয়ে চলে আসি সিরাজদিখান। এখানে চা-বিরতি। পরে নৌকায় চেপে টেকের হাঁট পৌঁছতেই আমাদের এক ঘণ্টা লাগে। দুপুর ঘনিয়েছে তবু সূর্যের দেখা নেই। আমরা টেকেরহাট লালনশাহ বটতলায় বসে চা পান করে ওপারের সরষেখেতে নেমে পড়ি। এ সময়ই দেখা দিল সূর্য। আর শুরু হয়ে গেল ক্যামেরার ক্লিকসরষে ফুলের সুবাসে কী এক আশ্চর্য মাদকতা। সে মাদকতার টানেই মৌমাছিদের ভিড়। আর বক পাখিদের আনাগোনা। সূর্য আড়াল হয়ে প্রকৃতিতে আবার কুয়াশা ভর করতেই মোহ ভাঙে। নৌকায় চড়ে ফেরার পথ ধরি। দেখি ঝাঁকে ঝাঁকে পানকৌড়ি পাখনা মেলে কুয়াশার আঁধারে বৃথাই রোদ পোহাবার চেষ্টা করে যাচ্ছে। আমার সঙ্গীরাও ঠান্ডায় কাহিল প্রায়। ক্যামেরা আড়াল হয়েছে, থেমে গেছে আনন্দ-উল্লাস। উদাস চিল গন্তব্যে ফিরে চলেছে। ঠান্ডায় হাত-পা জমে যাওয়া আমাদেরও ঘরে ফেরার তাড়া। এবার সঙ্গীর দিকে হাত বাড়িয়ে দিলাম একটু উষ্ণতার জন্য! জেনে নিনএখনই সরষে দেখার মোক্ষম সময়। পুরো সরষেখেত যেন হলুদ দুনিয়া। সরষের নাচন দেখতে চাইলে যেতে পারেন ঢাকার কাছের সোনারগাঁ, নারায়ণগঞ্জের বন্দর এলাকা, ডেমরা হয়ে নরসিংদী। আর পুরো মাওয়া রোডজুড়েই পাবেন হলুদ সরষে ফুল। যেতে পারেন বেজেরহাটি বাসাইল হয়ে সিরাজদিখান টেকেরহাট আর ইছাপুর। আর যেতে পারেন কায়কোবাদ সেতু হয়ে নবাবগঞ্জ-দোহার।
শিল্প-সাহিত্যের মাসিক পত্রিকা নতুনধারা কবিতাসন্ধ্যার আয়োজন করেছিল গতকাল কেন্দ্রীয় গণগ্রন্থাগারের সেমিনারকক্ষে। নতুনধারা গত মে মাস থেকে কবিতা পাঠের আয়োজন করে আসছে। গতকাল ছিল চতুর্থ আয়োজন।সন্ধ্যায় কবিতা পাঠে অংশ নেন কবি মনজুরে মওলা, রফিক আজাদ, আসাদ মান্নান, বিমল গুহ, দারা মাহমুদ, শামসেত তাবরেজী, জাফর আহমেদ রাশেদ প্রমুখ।মিয়ানমার থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ টেকনাফ স্থলবন্দরে বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ৫৪ টাকায়। কিন্তু কক্সবাজারের খুচরা বাজারে ওই পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। ফলে খুচরায় বাড়তি দাম গুণছেন ক্রেতারা।খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, মিয়ানমার থেকে আনা পেঁয়াজ সরাসরি চলে যাচ্ছে চট্টগ্রামে, সেখান থেকে তাঁরা কিনে এনে বিক্রি করছেন। ফলে দাম বাড়তি।দেশে পেঁয়াজের সংকট নিরসনে সরকার মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আমদানির সিদ্ধান্ত নেয়। পেঁয়াজ আমদানিতে সরকারি রাজস্বও মওকুফ করা হয়।গত মঙ্গলবার সকালে টেকনাফ স্থলবন্দর গিয়ে দেখা গেছে, মিয়ানমার থেকে আমদানি করা বিপুল পরিমাণ পেঁয়াজ নিয়ে ঘাটে ভিড়েছে দুটি বড় নৌকা। শ্রমিকেরা ওই পেঁয়াজ খালাস করে বন্দরের গুদামে ভর্তি করছেন।পেঁয়াজ আমদানিকারক ও ব্যবসায়ী আবুল হাশেম, সৈয়দ করিম ও মো. ফারুক জানান, ২৯ অক্টোবর দুটি ট্রলারে ১৬০ মেট্রিকটন পেঁয়াজ বন্দরে খালাস করা হয়। আগের দিন খালাস করা হয়েছে তিনটি ট্রলারের প্রায় ২০০ মেট্রিকটন পেঁয়াজ। আগামী কয়েক দিনে ৭০০ মেট্রিকটন পেঁয়াজ নিয়ে আরও কয়েকটি ট্রলার এই বন্দরে পৌঁছবে। মিয়ানমারের আকিয়াব থেকে এসব পেঁয়াজ আমদানি করা হচ্ছে।টেকনাফ স্থলবন্দরের কাস্টমস সুপার হুমায়ুন কবির বলেন, ‘দেশের সংকট নিরসন এবং উচ্চমূল্য নিয়ন্ত্রণের জন্য মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আমদানি করতে আমরা ব্যবসায়ীদের উৎসাহিত করছি। গত ২২ আগস্ট থেকে ২৭ অক্টোবর পর্যন্ত এই স্থলবন্দর দিয়ে মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে সাত হাজার ৬০৬ মেট্রিক টন।’টেকনাফ স্থলবন্দরে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানি করে মেসার্স চৌধুরী ট্রের্ডাস, সোনার্িল এন্টারপ্রাইজ, ইমতিয়াজ ট্রেডার্স, ট্রেড লিংক ও জেবি এন্টারপ্রাইজ। মের্সাস চৌধুরী ট্রেডার্সের মালিক মো. শওকত আলী চৌধুরী বলেন, ‘মিয়ানমারের আকিয়াব থেকে পেঁয়াজ কিনে ট্রলারে বোঝাই করে (সমুদ্র পাড়ি দিয়ে) টেকনাফ স্থলবন্দরে পৌঁছাতে তিন দিন সময় লাগে। পাশাপাশি লোনা পানিতে ভিজে বিপুল পরিমাণ পেঁয়াজ নষ্ট হয়। তার পরও আমরা এই পেঁয়াজ টেকনাফ স্থলবন্দরে পাইকারি ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করছি মণপ্রতি দুই হাজার ১৬০ টাকায়। সেই হিসাবে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম পড়ে ৫৪ টাকা। অথচ টেকনাফ, উখিয়া ও কক্সবাজারের খুচরা বাজারে এই পেঁয়াজ ৮০ টাকার নিচে বিক্রি হচ্ছে না।’আমদানিকারক আবুল হাশেম বলেন, টেকনাফ বন্দরে ৫৪ টাকায় পেঁয়াজ কিনে ব্যবসায়ীরা চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ ও কক্সবাজারে বিক্রি করেন ৫৬ থেকে ৫৮ টাকায়। কিন্তু খুচরা বিক্রেতারা ৮০ টাকার নিচে কেন বিক্রি করছেন না, তা তদারকির কেউ নেই।২৯ অক্টোবর সকালে কক্সবাজার শহরের বড় বাজার, বাজারঘাটা, বাহারছড়া ও কালামিয়া বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৮৬ টাকায়। এর কারণ জানতে চাইলে বড় বাজারের ব্যবসায়ী মমতাজুল ইসলাম (৪৫) বলেন, চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ থেকে ৬৩ টাকায় পেঁয়াজ কিনে কক্সবাজার পৌঁছাতে ৭৫ টাকা খরচ হয়। এরপর কয়েক টাকা লাভ করে ওই পেঁয়াজ বিক্রি করা হয়। বাসস্টেশন এলাকার দোকানদার আবতুর রহমান বলেন, ‘মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আমদানি হলেও এসব পেঁয়াজ চট্টগ্রামে সরবরাহ করা হচ্ছে। আমরা চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ থেকে পেঁয়াজ কিনে এনে এখানে বিক্রি করছি।’বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আগামীকাল শনিবার ১৮-দলীয় জোটের পূর্বঘোষিত বিক্ষোভ সমাবেশ ঢাকা মহানগরের প্রতিটি থানায় থানায় অনুষ্ঠিত হবে। সংশ্লিষ্ট থানা সুযোগ করে বিক্ষোভের সময় নির্ধারণ করবে।আজ শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন রিজভী। এ সময় তিনি সারা দেশে ১৮ দলের পূর্বঘোষিত বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে বলেও জানান।রুহুল কবির বলেন, ‘আমরা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিক্ষোভ সমাবেশ করার অনুমতি চেয়ে পুলিশকে চিঠি দিয়েছিলাম। কিন্তু পুলিশের পক্ষ থেকে অনুমোদন দেওয়া হয়নি। তাদের (পুলিশ) পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সেখানে (সোহরাওয়ার্দী) অন্য একটি কর্মসূচি রয়েছে। পরে আমরা বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে একটি বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠান করতে অনুমতি চেয়েছিলাম। কিন্তু পুলিশ সে অনুমতিও দেয়নি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন থানায় থানায় এই কর্মসূচির সিদ্ধান্ত হয়।’রুহুল কবির দাবি করেন, বর্তমান সরকার বিরোধী দলের আন্দোলনকে প্রতিহত করতে নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়েছে। এর মাধ্যমে উধোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, শাহবাগে যেখানে বাসে আগুন দেওয়া হয়েছে, সেটি ঘটেছে সরকারের নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যেই। কেননা, প্রায় এক বছর ধরে ওই এলাকা নিরাপত্তা বেষ্টনী হয়ে আছে। সেখানে বিরোধী দল সংঘাত করবে, তা ভাবা যায় না। বিএনপি এর সঙ্গে জড়িত নয় দাবি করে এটিকে সরকারের অপপ্রচার বলেও দাবি করেছেন তিনি।বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী সব দলের অংশগ্রহণে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হতে দিচ্ছেন না। তিনি দেশব্যাপী নাশকতা সৃষ্টি করে আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি করছেন। খামখেয়ালিপূর্ণ একতরফা এবং একদলীয় নির্বাচন আয়োজন করতে চাচ্ছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বিরোধী দল বিনাশে বিভিন্ন কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে বলেও তিনি অভিযোগ করেছেন।তথ্য ও বিনোদনপ্রেম-ভালোবাসার ওয়ানস্টপসার্ভিস—হূদয় নার্সিং হোমশেলী, রাসেল ওকথাবন্ধু সাফরিনের সঙ্গে[রাত ১১.২০-২.০০]সিনেমাতালকথাবন্ধু সুমন ওমাজহারুল ইসলাম[দুপুর ১২-০০ থেকে বেলা ৩-০০]
নেদারল্যান্ডসের শিল্পী ক্যারেল রিখটারের একক শিল্পকর্ম প্রদর্শনী শুরু হয়েছে গতকাল রোববার গুলশানের বেঙ্গল আর্ট লাউঞ্জে। ‘ইনভাইটেশন টু দ্য ড্যান্স’ শীর্ষক এই প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন বাংলাদেশে নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত গের্বেন শিয়োর্দ দ্য জং। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রীর পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা গওহর রিজভী, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের সিইও জিম ম্যাককেব, শিল্পী ক্যারেল রিখটার এবং বেঙ্গল আর্ট লাউঞ্জের পরিচালক নওশীন খায়ের।প্রদর্শনীতে প্রায় ৩০টি শিল্পকর্ম প্রদর্শিত হচ্ছে। প্রদর্শনী আগামী ৯ অক্টোবর পর্যন্ত প্রতিদিন দুপুর ১২টা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত খোলা থাকবে।ক্যারেল রিখটার ১৯৬৭ সালে নেদারল্যান্ডসের আমস্টারডামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি রয়েল একাডেমি অব আর্ট অ্যান্ড ডিজাইনে অধ্যয়ন করেন। এই প্রতিষ্ঠান থেকে বিশ্বখ্যাত শিল্পী ভিনসেন্ট ভ্যান গঘ স্নাতক ডিগ্রি নিয়েছিলেন। দ্য হেগ, আমস্টারডাম, রোম, বার্লিনসহ বিভিন্ন শহরে ক্যারেলের একক প্রদর্শনী হয়েছে। তিনি নেদারল্যান্ডস, ইতালি ও যুক্তরাষ্ট্রে বিভিন্ন পুরস্কার লাভ করেন। ক্যারেল তাঁর চিত্রকর্মেরমাধ্যমে বিভিন্ন সামাজিক বক্তব্য তুলে ধরতে চেয়েছেন। তাঁর শিল্পকর্মে উদ্বেগ, একাকিত্ব ও মৃত্যুচিন্তা প্রবল হয়ে দেখা দেয়। এটি এশিয়ায় তাঁর প্রথম প্রদর্শনী।তবে কি সাধারণ মানুষ রহস্যাবৃতই থেকে যাবে? একদিকে মানুষের জীবন যাচ্ছে, চলছে নজিরবিহীন পরিকল্পিত উগ্র সহিংসতা, অন্যদিকে পালাবদল নিয়ে বিস্তৃত হচ্ছে রহস্যের জাল। মানুষের ভোটে নির্বাচিত নেতাদের কাছ থেকে মানুষ জানতে পারছে না কী ঘটতে যাচ্ছে। কখনো মনে হয়নেতা-নেত্রীরাও জানেন না আগামীকাল কী ঘটবে। গণতন্ত্রের জন্য এর থেকে নির্মম পরিহাস আর কী হতে পারে?সংবিধানে ক্ষমতা হস্তান্তরের দুটি বিকল্প প্রক্রিয়া আছে। একটি হলো, সংসদ বহাল রেখে সংসদের মেয়াদ শেষের পূর্ববর্তী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন। অন্যটি, সংসদের মেয়াদ শেষে বা সংসদ ভেঙে দেওয়ার পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন। সরকার প্রকৃতপক্ষে এর কোন বিকল্পটি গ্রহণ করছে, তা অস্পষ্ট। যদিও সরকার বলছে প্রথম বিকল্পের কথা। তাই যদি হয়, তাহলে নির্বাচনকালীন বা অন্তর্বর্তী সরকারের সময় গণনা কবে থেকে শুরু হবে, ২৭ অক্টোবর থেকে, না নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার দিন থেকে—সে ব্যাপারে কোনো ব্যাখ্যা নেই। এ ছাড়া অন্তর্বর্তী সরকারের রুটিন কাজ কী হবে এবং এ সময় নির্বাচন কমিশনের হাতে কী ধরনের ক্ষমতা থাকবে, তা-ও বলা হলো না। অর্থাৎ ব্যাপারটা একটা রহস্য হয়েই থাকল। আর যদি বলা হয়, বিরোধী দলের সঙ্গে আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে অবস্থার হেরফের হতে পারে ভেবেই এই নীরবতা, তাহলে সে কথা সরাসরি বলে দিতে অসুবিধা কোথায়? মানুষ তো আলোচনাকে স্বাগত জানিয়েছে।দুই নেত্রীর আলোচনা নিয়েও ইতিমধ্যে রহস্য ঘনীভূত হতে শুরু করেছে। আলোচনার ফলাফল কী দাঁড়াতে পারে, তা অনুমান করা কঠিন হয়ে পড়েছে। টেলিফোনে দুই নেত্রী কথা বলার পরপরই সরকারের শরিক দল জাতীয় পার্টির একাধিক নেতা মন্তব্য করেছেন, ‘ফোনালাপ ইতিবাচক, তবে লোক দেখানো (প্রথম আলো, ২৭ অক্টোবর)’। শরিক দলের অপর নেতা রাশেদ খান মেনন বলেছেন, ‘সংলাপ হবে, তবে ফলাফল বলতে পারি না (প্রথম আলো, ২৭ অক্টোবর)’। এদিকে ২৮ অক্টোবর বেলা ১১টায় নয়াপল্টনের দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আলোচনার নামে সরকার নাটক করছে। সংলাপের ফলাফলের ব্যাপারে সরকারের শরিক দল এবং প্রধান বিরোধী দলের মধ্যেই যখন কোনো আশাবাদ নেই, তখন সাধারণ মানুষ যে এ ব্যাপারে আরও বেশি গোলকধাঁধায় পড়ে গেল। সংলাপ নিয়ে সর্বশেষ খবর হলো, এখন আবার নতুন করে কে কাকে ফোন করবেন, তা নিয়ে শুরু হয়েছে বাহাস।সংলাপ-পর্বের কদিন আগে থেকে এখন পর্যন্ত (২৮ অক্টোবর) ঘটনাপ্রবাহ খেয়াল করলে মানুষ কেন ধাঁধায় পড়েছে তা স্পষ্ট হবে। বিরোধী দলের পক্ষ থেকে প্রথমে বলা হলো, ২৫ অক্টোবর থেকে সরকার অবৈধ। পরে কথা পাল্টে ২৭ অক্টোবর থেকে সরকার অবৈধ বলা হলো। বিরোধী দলের বাঘা বাঘা লোকজনের হিসাবের এই গরমিল সাধারণের কাছে বোধগম্য নয়। আবার প্রধানমন্ত্রীর সর্বদলীয় সরকারের প্রস্তাবের পাল্টা প্রস্তাবে বিরোধীদলীয় নেতা সাবেক ২০ উপদেষ্টার সমন্বয়ে নির্দলীয় সরকারের তত্ত্ব সংবাদ সম্মেলনে তুলে ধরে বললেন, বর্তমান সংবিধানের মধ্যে থেকেই তাঁর (বিরোধীদলীয় নেতার) প্রস্তাব বাস্তবায়ন সম্ভব। অথচ সংবিধান বিশ্লেষকেরা বললেন, বিরোধী দলের নেতার প্রস্তাব বাস্তবায়নের জন্য সংবিধান সংশোধন করতে হবে। আগের দুই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ২০ উপদেষ্টার বিষয়ে বলা হলো, বিরোধী দল যথেষ্ট হোমওয়ার্ক করেনি। বিরোধী দল যে দাবিতে দীর্ঘদিন হলো আন্দোলন করছে, সে ব্যাপারে তাদের যথেষ্ট হোমওয়ার্ক নেই—তা কিন্তু সাধারণের ভাবতে কষ্ট হচ্ছে। ফলে উল্টোপাল্টা এসব কথা নিয়ে সন্দেহ দানা বাঁধতে শুরু করেছে। বর্তমান সরকার অবৈধ হলে সংসদও অবৈধ হয়। তাহলে বিরোধী দলের দাবি অনুযায়ী সংবিধান সংশোধন কীভাবে হওয়া সম্ভব, সে প্রশ্নও উঠছে। ‘সরকার অবৈধ’—এ মন্তব্য রাজনৈতিক হতে পারে। কিন্তু সাংবিধানিক বিষয়কে রাজনৈতিক কৌশল হিসেবে উপস্থাপন করা হলে জনগণ বিভ্রান্ত হয় এবং রাষ্ট্র পরিচালনার এই মূল দলিলের ব্যাখ্যার ব্যাপারে অস্পষ্টতা বাড়তে থাকে।২৫ অক্টোবর ১৮ দলের জনসভা নিয়েও উল্টোপাল্টা কম হলো না। সরকার প্রথমে বলল, কিছুতেই সভা করতে দেওয়া হবে না। কিন্তু শেষ মুহূর্তে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সভার অনুমতি দেওয়া হলো। ১৮ দলও প্রথমে দৃঢ়তার সঙ্গে জানাল, তারা নয়াপল্টনে সভা করবেই। পরে সিদ্ধান্ত পাল্টে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেই সভা করল। সে সভার সামগ্রিক চেহারা নিয়েও মানুষ কম বিভ্রান্ত নয়। সেখানে বক্তাদের দাবি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের, অথচ ব্যানার-ফেস্টুনের দাবি যুদ্ধাপরাধীদের মুক্তি। এই প্রেক্ষাপটে বিরোধীদলীয় নেতা ‘ক্ষমতায় গেলে সব রাজবন্দীকে মুক্ত করে দেওয়া হবে’ বলে বিষয়টি আরও বেশি ধোঁয়াটে করে ফেললেন।সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিরোধীদলীয় নেতার দুই দিনের আলটিমেটাম নিয়ে কম রহস্যের সৃষ্টি হয়নি। কয়েক দিন আগে থেকে বলা সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রীর ফোনালাপে বিলম্ব, বিরোধী দলের নেতার লাল ফোন ‘বিকল’ থাকা এবং কে কাকে প্রথমে ফোন করবেন, তা নিয়ে উভয় পক্ষের ভিন্ন ভাষ্যের রহস্যকেও ছাপিয়ে যায় হরতাল প্রত্যাহার না করার রহস্যটি। ২৬ অক্টোবর সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী বিরোধীদলীয় নেতাকে ফোন করেছিলেন বিরোধী দলের নেতার বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যেই। ফোনে প্রধানমন্ত্রী বিরোধীদলীয় নেতাকে হরতাল প্রত্যাহার করে ২৮ অক্টোবর গণভবনে এসে আলোচনা শুরু করার জন্য আমন্ত্রণ জানান। প্রধানমন্ত্রী যদি এই আহ্বান না-ও জানাতেন, তবু বিরোধীদলীয় নেতা তাঁর নিজের দেওয়া শর্ত অনুযায়ীই হরতাল প্রত্যাহার করে নেবেন, এটাই ছিল প্রত্যাশা। এ ছাড়া তিনি প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যানও করেননি, ২৯ অক্টোবরের পর যেকোনো দিন আলোচনায় বসবেন বলেছেন। তাহলে প্রশ্ন ওঠে, কোন বিশেষ কারণে তিনি নিজের দেওয়া শর্ত ভঙ্গ করে হরতাল অব্যাহত রাখলেন? বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী বিলম্বে ফোন করায় ১৮ দলের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে হরতাল প্রত্যাহার করার মতো যথেষ্ট সময় হাতে ছিল না।বাংলাদেশ হরতালের দেশ। কিন্তু অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় সাম্প্রতিক হরতালের চিত্র ভিন্ন। হরতালের আগে এমন পরিকল্পিত বলপ্রয়োগ, বোমা-ককটেলবাজি ও অগ্নিসংযোগ মানুষ কখনো দেখেনি। এসব সহিংসতার সঙ্গে আগুনে ঘি ঢালার মতো যুক্ত হলো জনৈক বহুরূপী বুদ্ধিজীবী কর্তৃক গণমাধ্যমে হামলা চালানোর প্রকাশ্য উসকানি।যেমন ব্যবস্থাই হোক না কেন, সব পক্ষের কাছে গ্রহণযোগ্য একটা নির্বাচন দেশের মানুষ চায়। জনগণের এই মনোভাব ১৮ দলের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবির মূল মর্মের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এ ছাড়া তারাই তো দাবি করছে বিভিন্ন ‘জরিপ’ অনুযায়ী দেশের ৯০ ভাগ মানুষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা চায়। তাহলে এই দাবিতে হরতাল করতে গিয়ে এমন নজিরবিহীন জবরদস্তি করা কেন? হরতালে তো মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থনই পাওয়ার কথা। ২৫ অক্টোবর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের জনসভায় ১৮-দলীয় নেত্রী তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে নারী-পুরুষনির্বিশেষে সব পেশার মানুষকে রাস্তায় নেমে আসতে বলেছেন। কিন্তু তাঁদের কর্মীদের এমন বেপরোয়া বোমা-ককটেলবাজি আর অগ্নিসংযোগের শঙ্কার মধ্যে সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে আসবে কি?সবাই জানে, বলপ্রয়োগ হলো দুর্বলের অস্ত্র। যুক্তি ও সত্যের খেই যখন হারিয়ে যায়, তখনই পেশিশক্তি মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। ১৮ দলের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবির মধ্যে যুক্তি ও সত্যের অভাব কোথায়? তাহলে এই বলপ্রয়োগের পেছনে ১৮ দলের মধ্যে অন্য কারও ভিন্ন স্বার্থ আছে কি? তা থেকে থাকলে অন্য দলগুলো তার দায় নেবে কি? মানুষ যখন আসল দাবি কোনটি, তা নিয়ে বিভ্রান্তির মধ্যে থাকবে, তখন দীর্ঘ মেয়াদে তার মাশুলটা হয়তো অন্য দল, বিশেষ করে প্রধান বিরোধী দলকেই দিতে হবে।দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে বিদেশি মিত্রদের অতি উৎসাহও মানুষকে অস্বস্তিতে রেখেছে। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইইউর পর এবার জাতিসংঘ, চীন, জাপানও নাক গলাচ্ছে। ড্যান মজীনা প্রায় প্রকাশ্যেই বাংলাদেশের রাজনৈতিক বিষয়ে ভারতের সঙ্গে আলোচনা করে এলেন। বাংলাদেশের সমস্যা সমাধানের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের মধ্যে মতপার্থক্যের খবরও গণমাধ্যমে এসেছে।প্রতিদিন ঘটনার বাঁক পরিবর্তন হচ্ছে। গুজব, বিভ্রান্তি, রহস্যের পাশাপাশি সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ছে, প্রাণহানি ঘটছে। মানুষের উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার শেষ নেই। জাদুকর যেমন তার লক্ষ্য হাসিলের জন্য মানুষকে বিভ্রান্তির জালে জড়িয়ে ফেলে, তেমনই দেশের মানুষও যেন জাদুকরের কারসাজিতে এখন সম্মোহিত। এই অবস্থায় দুই নেত্রীর প্রতি আহ্বান, আপনারা বসুন। নিজেদের সমস্যার সমাধান নিজেরাই করুন। অদৃশ্য জাদুকরের কারসাজি কারও কাছেই কাম্য নয়।মলয় ভৌমিক: অধ্যাপক, ব্যবস্থাপনা বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়; নাট্যকার।ফেডারেশন কাপের সবচেয়ে সফল দল তারাই। ১০ বার এই শিরোপা ঘরে তুলেছে মোহামেডান। তবে টানা চতুর্থবারের মতো ফাইনালের আগেই বিদায় নিতে হলো ঘরোয়া ফুটবলের ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটিকে। আজ কোয়ার্টার ফাইনালে তাদের ৩-১ গোলে হারিয়ে শেষ চারে উঠে গেছে গতবারের রানার্স আপ শেখ জামাল।শেখ জামালের জয়ের নায়ক সনি নর্দে। জোড়া গোল করেছেন এই নাইজেরিয়ান। ৩৪ মিনিটে দল এগিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। দ্বিতীয়ার্ধের ১০ মিনিটের মাথায় দ্বিতীয় গোলটিও তাঁর। তখনই ম্যাচটি একরকম শেষ হয়ে গিয়েছিল। ৮৩ মিনিটে ৩-০ করে ম্যাচে মোহামেডানের ফেরার পথ বন্ধ করে দেন মামুনুল। অবশ্য শেষ দিকে চুকো চার্লসের সৌজন্যে সান্ত্বনার একটি গোল পায় মোহামেডান।ম্যাচের নায়ক নর্দে অবশ্য চোট নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন। হাসপাতালেও নিতে হয়েছে তাঁকে। অবশ্য চোটটি কত গুরুতর সেটি এখনো জানা যায়নি।বেঙ্গল শিল্পালয়, ধানমন্ডিশিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে আয়োজন। জয়নুল আবেদিন ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের আঁকা ছবি নিয়ে প্রদর্শনী ‘শিল্পাচার্যের প্রসারিত শিল্পাঙ্গন’। চলবে ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত।বেঙ্গল লাউঞ্জ, গুলশান এভিনিউকাশেফ মাহবুব চৌধুরীর স্থাপত্যকলা প্রদর্শনী ‘ধীর জন্মেই জীবন’। চলবে।বলাকা সিনেওয়ার্ল্ড্ভালোবাসা আজকাল ও উধাও। বেলা সাড়ে ১২টা, সাড়ে তিনটা, সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা ও রাত নয়টায়।স্টার সিনেপ্লেক্স মোস্ট ওয়েলকাম: সকাল ১০টা ৫০ ও বিকেল সাড়ে চারটায়। হূদয় ভাঙ্গা ঢেউ: বেলা একটা ৪০ ও সন্ধ্যা সোয়া সাতটায়। প্যাসিফিক রিম থ্রিডি: বেলা ১১টা, দেড়টা, বিকেল সোয়া চারটা ও সন্ধ্যা সাতটায়। দ্য কানজারিং: বেলা ১১টা ১০, পৌনে দুইটা, বিকেল পৌনে পাঁচটা ও সন্ধ্যা সোয়া সাতটায়। দ্য হাঙ্গার গেমস: সকাল ১০টা ৫০, বেলা পৌনে দুইটা, বিকেল সোয়া চারটা ও সন্ধ্যা সোয়া সাতটায়।
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ব্রা‏হ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরের রামপুরা এলাকায় সেতুর রেলিং ভেঙে যাত্রীবাহী একটি বাস তিতাস নদীতে পড়ে গেছে। আজ রোববার রাত সোয়া নয়টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।বাসটিতে কতজন যাত্রী ছিল, তা জানা যায়নি। তাত্ক্ষণিকভাবে অন্তত একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, নিহতের সংখ্যা অনেক বেশি হতে পারে। সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশের পাশাপাশি স্থানীয় লোকজন উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।ফায়ার সার্ভিসের সহকারী উপপরিচালক জয়নাল আবেদীন প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, তাঁদের দুটি উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে কাজ করছে। কয়েকজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উত্তম কুমার ঘটনাস্থলের প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, যাত্রীবাহী বাসটি ঢাকা থেকে সিলেট যাচ্ছিল। সেতুতে ওঠার পর বিপরীত দিকে থেকে আসা ট্রলির সঙ্গে বাসটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে রেলিং ভেঙে বাসটি নদীতে পড়ে যায়। এ ঘটনায় একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তার পরিচয় জানা যায়নি।ব্রা‏হ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রথম আলো ডটকমকে জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। উদ্ধারকাজ চলছে।দীর্ঘ চারটি বছর পর পার্ল জ্যাম তাদের নতুন অ্যালবাম নিয়ে হাজির হলো।এ মাসের ১৪ ও ১৫ তারিখে অ্যালবামটি যথাক্রমে ইউরোপ ও আমেরিকায় বের হয়েছে। বের হতে না হতেই তা বিলবোর্ড শীর্ষ ১০ রক অ্যালবামের তালিকায় শীর্ষস্থানটি দখল করে আছে। সেখান থেকে তারা কবে নামবে, তা বলা মুশকিল। অতীতেও তাদের অ্যালবাম বছর খানেক ধরে শীর্ষ তালিকায় থাকার ইতিহাস আছে। আজ আমরা স্বনামধন্য ও বিশ্ববিখ্যাত দল, যারা গ্রাঞ্জের অন্যতম পথপ্রদর্শক, তাদের কথা জানব। ‘পার্ল জ্যাম’ দলটি আমেরিকার ওয়াশিংটনের সিয়াটলে ১৯৯০ সালে গড়ে ওঠে। শুরু থেকেই স্টোন গোসার্ড (গিটার), জেফ অ্যামেন্ট (বেজ), মাইক ম্যাকক্রিডি (গিটার) এবং এডি ভেডার (ভোকাল) ছিলেন। তাঁদের ড্রামার পরিবর্তিত হয় পাঁচবার। ১৯৯৮ সাল থেকে ম্যাট ক্যামেরন তাঁদের সঙ্গে ড্রামার হিসেবে আছেন।ম্যাট ক্যামেরন আগে সাউন্ডগার্ডেন নামের অন্য এক বিশ্ববিখ্যাত গ্রাঞ্জ দলে ড্রামস বাজাতেন।পার্ল জ্যাম গড়ে উঠছিল, কেননা স্টোন গোসার্ড ও জেফ অ্যামেন্টের আগের দল ‘মাদার লাভ বোন’ ভেঙে যায়। সেই দলটি ১৯৮৭-১৯৯০ সাল পর্যন্ত স্থায়ী ছিল। দলের মূল ভোকাল অতিরিক্ত হেরোইন সেবন করার কারণে ১৯৯০ সালের মার্চ মাসে মৃত্যুবরণ করেন। স্টোন গোসার্ড ও জেফ অ্যামেন্ট জুটি তারও আগে থেকে একসঙ্গে বাজাতেন। ১৯৮৪ সাল থেকে তাঁরা ‘গ্রিন রিভার’ নামের গ্রাঞ্জ পথিকৃৎ একটি দলে ছিলেন। এডি ভেডার ১৯৮৬ সাল থেকে ‘ব্যাড রেডিও’ নামের একটি দলের ভোকাল ছিলেন।১৯৯০ সালে স্টোন গোসার্ড, জেফ অ্যামেন্ট তাঁদের সঙ্গে আরেক গিটারিস্ট মাইক ম্যাকক্রিডিকে সঙ্গে নিয়ে অনুশীলন শুরু করেন।পাঁচটি গানের একটি ডেমো টেপ রেকর্ড করে তাঁরা সেই ডেমো টেপ শুনিয়ে ভোকাল ও ড্রামার খুঁজতে থাকেন। তাঁরা রেড হট চিলি পেপারসের সাবেক ড্রামার জ্যাক আয়রনসের কাছে ডেমোটি দিয়েছিলেন। জ্যাক আয়রনস তাঁর বাস্কেটবল খেলার বন্ধু এডি ভেডারকে সেই ডেমো টেপটি দিয়েছিলেন। ভেডার সেই পাঁচটি গানের মধ্যে তিনটি গানে কণ্ঠ দিয়ে তা রেকর্ড করে ফেরত পাঠান। তিনটি গানের মধ্যে ছিল ‘এলাইভ’, ‘ওয়ানস’ ও ‘ফুটস্টেপস’।স্টোন গোসার্ড, জেফ অ্যামেন্ট ও মাইক ম্যাকক্রিডি সেই তিনটি গান শুনে এডি ভেডারকে তাঁদের সঙ্গে যুক্ত করেছিলেন। প্রথম ড্রামার ছিলেন ডেভ ক্রসেন। শুরুতে তাঁরা তৎকালীন নামকরা বাস্কেটবল খেলোয়াড় ‘মুকি ব্লেক’-এর নামানুসারে দলের নামকরণ করেন। তবে ১৯৯০ সালের শেষ দিকে এপিক রেকর্ডসের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার পর নাম বদলে ‘পার্ল জ্যাম’ রাখেন।পার্ল জ্যাম নামকরণের বিষয়টি নিয়ে একটি দ্বন্দ্ব আছে। এডি ভেডার বলেছিলেন, তাঁর দাদির মায়ের নাম ছিল পার্ল। সেখান থেকে তাঁর মাথায় নামটি আসে। আবার আরেক সূত্রে জানা যায়, অ্যামেন্ট দলের নাম পার্ল বলে প্রস্তাব করেন। পরবর্তী সময়ে তাঁরা নীল ইয়াংয়ের কনসার্ট দেখেন, যেখানে ইয়াং প্রতিটি গান ইম্প্রোভাইজ করেন। ইম্প্রোভাইজ করে প্রতিটি গান প্রায় ২০ মিনিট জ্যাম করেন। সেখান থেকে তাঁদের মাথায় পার্লের সঙ্গে জ্যাম যুক্ত করার বিষয়টি আসে।পার্ল জ্যাম ১৯৯১ সালের মার্চ মাসে তাদের প্রথম অ্যালবাম রেকর্ড করা শুরু করে। সে বছরের ২৭ আগস্ট অ্যালবামটি বের হয়। মুকি ব্লেক-এর জার্সি নম্বর অনুসারে তারা অ্যালবামের নাম দেয় টেন।টেন অ্যালবামের শুরুতেই ‘ডেভ ক্রসেন’ দল ত্যাগ করে মাদকাসক্তি পুনর্বাসনকেন্দ্রে যান। এরপর প্রথমে ম্যাট চ্যাম্বারলেইন ও পরে ডেভ অ্যাব্রুভেজ্জ্যে দলের ড্রামার হিসেবে অ্যালবামের কাজ শেষ করেন।টেন অ্যালবামটি প্রথমে খুব আস্তে আস্তে বিক্রি হলেও ১৯৯২ সালের মাঝামাঝি তা অত্যন্ত সফল অ্যালবাম হয়ে যায়। সে সময় তা বিলবোর্ড তালিকায় দ্বিতীয় স্থান দখল করে। পার্ল জ্যামের সেই বিখ্যাত অ্যালবাম টেন দুই বছরের বেশি সময় ধরে বিলবোর্ড শীর্ষ তালিকায় স্থান দখল করে ছিল এবং ১৩ প্লাটিনাম সার্টিফিকেট অর্জন করে।প্রথম অ্যালবামের মাত্রাতিরিক্ত সাফল্য পার্ল জ্যামের সদস্যরা অত্যন্ত বিব্রত হয়েছিলেন। কেননা, তাঁরা খ্যাতি চাননি। তার পরও তাঁরা ১৯৯৩ সালের এমটিভি মিউজিক অ্যাওয়ার্ডসে চারটি বিভাগে পুরস্কার পেয়েছিলেন ‘জেরেমি’ গানটির ভিডিও’র জন্য। এ কারণে তাঁরা পরবর্তী সময়ে আর মিউজিক ভিডিও বানানোর আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন। মিউজিক ভিডিও না বানানোর ব্যাপারে এডি ডেভার অত্যন্ত মূল্যবান একটি কথা বলেন। তাঁর ভাষ্যমতে, মিউজিক ভিডিও বের হওয়ার আগে হেডফোনের মাধ্যমে চোখ বন্ধ করে গান শুনলে শ্রোতার সামনে তাঁর নিজস্ব কল্পনার চিত্র ভেসে উঠবে। গানটি তখন নিজের সত্তার সঙ্গে মিশে যাবে। কিন্তু মিউজিক ভিডিও থাকলে সেই কল্পনাকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়।১৯৯৩ সালের শুরুর দিকেই পার্ল জ্যাম তাদের দ্বিতীয় অ্যালবাম রেকর্ড করতে শুরু করে। সে বছরের ১৯ অক্টোবর অ্যালবামটি বের হয়। ভার্সেস শীর্ষক অ্যালবামটি প্রথম সপ্তাহে নয় লাখ ৫০ হাজার ৩৭৮ কপি বিক্রি হয়ে বিলবোর্ড শীর্ষ সব তালিকার মধ্যে শীর্ষস্থান দখল করে। এখন পর্যন্ত তারা ১০টি অ্যালবাম বের করেছে।নব্বইয়ের দশকের শুরুর দিকের অন্যান্য গ্রাঞ্জ দলের তুলনায় পার্ল জ্যামের গানের ধরন কম ভারী ছিল। ১৯৭০ সালের ক্ল্যাসিক রকের সঙ্গে তাদের শব্দের কিছু মিল পাওয়া যায়। তবে তারা পাঙ্ক রক দ্বারা খুবই প্রভাবিত। সব মিলিয়ে তাদের অলটারনেটিভ রক, গ্রাঞ্জ ও হার্ড রকের মিশ্রণে একটি রক গানের দল বলা যায়।পার্ল জ্যাম তাদের দুই দশকের বেশি সময়ের যাত্রায় বিশ্বসংগীতের এই অলটারনেটিভ, গ্রাঞ্জ ধারায় ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। অসংখ্য দল তাদের দ্বারা প্রভাবিত। নব্বইয়ের দশকে পাকিস্তানে রক-সংগীতের চর্চায়ও তাদের প্রভাব আছে। পার্ল জ্যামের এডি ভেডারের কণ্ঠ সর্বাধিক অনুকরণ করা গায়কের কণ্ঠের মধ্যে অন্যতম। তবে পার্ল জ্যাম দলটি খ্যাতির পেছনে ছোটেনি। যদিও তাদের গান দলটিকে বিশ্বের অন্যতম বিখ্যাত একটা রক দলে পরিণত করেছে।পার্ল জ্যামের যত অ্যালবাম টেন (১৯৯১) ভার্সেস (১৯৯৩) ভাইটালজি (১৯৯৪) নো কোড (১৯৯৬) ইল্ড (১৯৯৮) রাইনর‌্যাল (২০০০) রায়ট অ্যাক্ট (২০০২) পার্ল জ্যাম (২০০৬) ব্যাকস্পেসার (২০০৯) লাইটনিং বোল্ট (২০১৩)পার্ল জ্যামের সদস্যরা জেক অ্যামেন্টবেজ গিটার (১৯৯০-বর্তমান) স্টোন গোসার্ডরিদম ও লিড গিটার (১৯৯০-বর্তমান) মাইক ম্যাকক্রিডিলিড গিটার (১৯৯০-বর্তমান) এডি ডেভারলিড ভোকালস, রিদম গিটার(১৯৯০-বর্তমান) ম্যাট ক্যামেরনৎড্রামস (১৯৯৮-বর্তমান)মনোয়ারুল হক১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আওয়ামী লীগের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হয়েছে। আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম এক সংবাদ সম্মেলনে এ প্রার্থী তালিকা ঘোষণা দিচ্ছেন।দেশের প্রতিটি সংগ্রাম, আন্দোলন ও অর্জনে শিল্পী ও সংস্কৃতিকর্মীরা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। তাঁদের অবদানকে সম্মান জানাতে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী এ বছর থেকে প্রবর্তন করেছে ‘শিল্পকলা পদক’। গতকাল প্রথমবারের মতো এই পদক বিতরণ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।গতকাল বিকেলে একাডেমীর জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে আয়োজিত পদক প্রদান অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন তথ্য ও সংস্কৃতিমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। সংস্কৃতিসচিব রণজিৎ কুমার বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন শিল্পকলা একাডেমীর মহাপরিচালক লিয়াকত আলী।শিল্প-সংস্কৃতির বিভিন্ন শাখায় অবদানের জন্য সাতজন গুণী শিল্পী ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বকে প্রদান করা হয় শিল্পকলা পদক। পদকপ্রাপ্ত শিল্পীরা হলেন নৃত্যকলায় আমানুল হক, যন্ত্রসংগীতে ওস্তাদ মতিউল হক খান, লোকসংস্কৃতিতে সাইদুর রহমান বয়াতি, চারুকলায় সমরজিৎ রায়চৌধুরী, কণ্ঠসংগীতে ফাহমিদা খাতুন, চলচ্চিত্রে মানজারে হাসীন মুরাদ এবং নাট্যকলায় সদ্যপ্রয়াত খালেদ খান। নীতিমালা অনুযায়ী শিল্পকলা পদক মরণোত্তর দেওয়ার রীতি নেই। আগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী খালেদ খানকে এ পদক দেওয়া হয়েছে।রাষ্ট্রপতি পদকপ্রাপ্তদের প্রত্যেকের হাতে এক লাখ টাকার অর্থমূল্য, সনদপত্র ও উত্তরীয় তুলে দেন। খালেদ খানের পক্ষে পদক গ্রহণ করেন তাঁর স্ত্রী রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী মিতা হক।প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘আমাদের গ্রামবাংলার অসংখ্য প্রতিভা কোনো পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়াই আপন ভুবন সৃজন করে চলেছেন। কিন্তু মূল্যায়নের অভাবে অনেক প্রতিভা কালের আবর্তে হারিয়ে যাচ্ছে। আমরা জানি, কোনো প্রতিভার মূল্যায়ন না হলে একদিকে যেমন তা বিকশিত হয় না, তেমনি অন্য প্রতিভার আগমনের পথও হয় সংকুচিত। আর সেই সুযোগে অপসংস্কৃতি দেশে মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে।’আবদুল হামিদ বলেন, বাংলাদেশ শিল্প ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে জাতীয় পর্যায়ে বিশেষ অবদানের জন্য যেসব শিল্পী পদক পেয়েছেন, তাঁরা শিল্পকলার ক্ষেত্রে অনন্য। পদকপ্রাপ্ত গুণীদের পক্ষে বক্তব্য দেন ফাহমিদা খাতুন। তিনি বলেন, ‘এই পদক আমাদের অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।’
হিমছড়ির ঝরনা, অবারিত সমুদ্রসৈকত আর সবুজ পাহড়ে শুটিং চলছে একটি সম্পূর্ণ ঝলক কমেডি নামের টেলিছবির। এই খবরে তেমন নতুনত্ব নেই। কারণ, বাংলাদেশে আজ পর্যন্ত যত চলচ্চিত্র বা টিভি নাটক তৈরি হয়েছে, তার মধ্যে কয়টিতে কক্সবাজারের পাহাড়-সমুদ্র-ঝরনার দৃশ্য আছে, তার হিসাব করার চেয়ে কয়টিতে নেই এ হিসাব করা অনেক সহজ। বাংলাদেশের এমন কোনো টিভি-সিনেমার তারকা কিংবা পরিচালক কি আছেন, যিনি কখনো কক্সবাজারে শুটিং করতে আসেননি? মনে হয় না।‘সব ছবিতে বা নাটকে বারবার কক্সবাজারের সমুদ্র বা পাহাড়ের দৃশ্য...ব্যাপারটা কেমন একটু একঘেয়ে মনে হয় না?’মোহন খান বললেন, ‘না, আমার মনে হয় না। এই বিশাল সমুদ্র, এই অনন্ত জলরাশি...এই দৃশ্য কি কখনো একঘেয়ে হতে পারে? সবুজ পাহাড়ের আকর্ষণ কখনো ফিকে হতে পারে?... আসল কথা হচ্ছে আমি নাটকে বা সিনেমায় সমুদ্র-পাহাড়কে কতটা সুন্দর করে তুলে ধরতে পারছি...।’এবার তাহলে মোহন খান সম্পর্কে একটু বলি। আপনারা অনেকেই জানেন, মোহন খান নাট্যকার ও নির্মাতা। কিন্তু একটা তথ্য হয়তো জানেন না, কক্সবাজারের প্রেমে পড়ে যাওয়া এই মানুষের জীবনের অর্ধেকের চেয়ে বেশি সময় কাটিয়েছেন এই শহরে। অন্তত ১০০টি খণ্ড নাটক বানিয়েছেন তিনি কক্সবাজারে। ১৩ পর্বের, ২৬ পর্বের ও ৫২ পর্বের ধারাবাহিক নাটকের শুটিং করেছেন এখানে। এটিএন বাংলায় এখন প্রতি সোমবার প্রচারিত হচ্ছে মোহন খানের ১০৪ পর্বের ধারাবাহিক নাটক নীড় খোঁজে গাঙচিল, এর পুরোটাই শুটিং হয়েছে কক্সবাজারের বিভিন্ন লোকেশনে। মোহনের প্রডাকশন হাউসের নামও ‘গাঙচিল’। তিনি বললেন, ‘নাটক নির্মাণের জন্য নানা সময় তো বিভিন্ন দেশে গিয়েছি, কিন্তু কক্সবাজারের আকর্ষণ এড়াতে পারিনি। আমার মনে হয়, পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর লোকেশন কক্সবাজার। পাহাড়-সমুদ্রের এমন মিলনক্ষেত্র সত্যি বিরল। শুধু কক্সবাজার কেন, সমুদ্রঘেরা মহেশখালী দ্বীপ, টেকনাফ বা সেন্ট মার্টিনের মতো অসাধারণ জায়গার কতটুকুই বা তুলে ধরতে পেরেছি আমরা?’‘এই প্রেম জন্মাল কীভাবে?’হাসলেন মোহন খান, বললেন, ‘আমার স্কুলজীবন কেটেছে চট্টগ্রাম শহরে, তখন থেকে সুযোগ পেলেই চলে আসতাম এখানে। পরবর্তী জীবনে নাটক বানানো যখন শুরু করলাম, তখন সেই শৈশবের স্মৃতিই আমাকে আবার টেনে এনেছে এখানে। আমি যে শুধু নাটক নির্মাণের জন্যই আসি তা কিন্তু নয়, মাঝেমধ্যে একা একা সময় কাটাতে চলে আসি। মন ভালো থাকলে আসি, আবার মন খারাপ হলেও আসি। হা হা হা।’‘এখানে নাটক বানাতে এসে আগের কোনো স্মৃতি বা ঘটনার কথা কি মনে পড়ে?’‘স্মৃতি তো অজস্র...এই মুহূর্তে যেটা মনে পড়ছে, বলি। আজ থেকে অন্তত ১০-১৫ বছর আগে সমুদ্রে গাঙচিল নামে আমার লেখা একটি নাটকের শুটিং করতে এসেছিলাম। বিটিভির এক ঘণ্টার নাটক। নির্দেশক ছিলেন আমার গুরু জিয়া আনসারী। শিল্পী ছিলেন সুবর্ণা, ফরিদী, আফজাল। তখন তো এখনকার মতো দ্রুত কাজ হতো না, সারা দিনে দুই থেকে তিনটি সিকোয়েন্স হতো...বাকি সময়টা চলতো জম্পেশ আড্ডা। ভেবে দেখুন, এই গুণী মানুষগুলোর সঙ্গে গল্প-আড্ডা দেওয়া কী আনন্দের! যেমন প্রতিভাবান শিল্পী তাঁরা, তেমনি রসিক মানুষ। কত কী শেখা যায় তাঁদের সঙ্গে থাকলে...সেই দিনগুলো এখনো ভুলতে পারি না আমি।’কক্সবাজারে এখন অপরিকল্পিত আবাসন গড়ে উঠছে, কাটা হচ্ছে পাহাড়, আড়াল হয়ে যাচ্ছে সমুদ্রের সৌন্দর্য—এই ব্যাপারগুলো মন খারাপ করে দেয় মোহনের। ইট-কাঠের জঞ্জাল তো পৃথিবীর সব দেশেই আছে। কিন্তু একটা কক্সবাজার কি যেখানে-সেখানে পাওয়া যায়? প্রকৃতির এমন অকৃপণ দান যেন মানুষের স্বার্থপরতার কারণে, লোভের কারণে ধ্বংস হয়ে না যায়, সে ব্যাপারে সবার সচেতন ও সোচ্চার হওয়া উচিত বলে মনে করেন তিনি।‘কক্সবাজারে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ভেন্যু চাই। অন্যথায় হরতালসহ কঠোর কর্মসূচি দিতে আমরা বাধ্য হব।’ গত মঙ্গলবার বিকেলে জেলার বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন স্টেডিয়ামে আয়োজিত সংবাদ সন্মেলনে কক্সবাজার বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি আবু মোর্শেদ চৌধুরী এই প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, আগামী ২০১৪ সালের মার্চ মাসে অনুষ্ঠেয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ক্রিকেটের জন্য কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের পর্যটন গলফ মাঠের ৫১ একর জমিতে প্রায় ২০ কোটি টাকা ব্যয়ে শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম নির্মাণ করা হচ্ছে। বর্তমানে স্টেডিয়ামের নির্মাণকাজ ৯০ শতাংশ শেষ হয়েছে। কিন্তু হঠাৎ করে টি-টোয়েন্টির ভেন্যু থেকে কক্সবাজারকে বাদ দেওয়ার ঘোষণা আমরা মেনে নিতে পারছি না।এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন কক্সবাজারের বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ। স্থানীয় (কক্সবাজার-৩) সাংসদ লুৎফর রহমান ওরফে কাজল বলেন, অদৃশ্য কারণে কক্সবাজার ভেন্যুটি বাতিল করা হয়েছে। এতে জেলার ২৪ লাখ মানুষ হতাশ।জেলা প্রশাসক মো. রুহুল আমিন বলেন, ভেন্যু বাতিলের কারণে আমরা মর্মাহত। টি-টোয়েন্টি আসরের খেলা কক্সবাজারে হবে-এজন্যই এখানে ক্রিকেট স্টেডিয়াম তৈরি করা হচ্ছে। গত ৩ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী ওই স্টেডিয়ামের ভিত্তিফলক উন্মোচন করেন।জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে আহমদ হোসেন বলেন, কক্সবাজারে ভেন্যুর জন্য ঢাকায় কথা বলার কেউ নেই বলে আমাদের এই দুরবস্থা। আমরা এখানে ভেন্যুর জন্য ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন করব।বগুড়ায় আগামী রোববার ভোর ছয়টা থেকে ৩৬ ঘণ্টার হরতাল ডেকেছে জেলা বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দল।বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নাম ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত এবং অবরোধ চলাকালে যুবদল নেতা ইউসুফ আলীকে গুলি করে হত্যা, অসংখ্য নেতা-কর্মীকে গুলিবিদ্ধ করা, বগুড়া শহর যুবদলের সভাপতি মাসুদ রানাকে সাজানো মামলায় গ্রেপ্তারসহ বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের নির্যাতন ও গ্রেপ্তার করা হয়েছে—এমন দাবি করে এর প্রতিবাদে এই হরতালের ডাক দেওয়া হয়।১৮ দলের সমন্বয়ক ও জেলা বিএনপির সভাপতি সাইফুল ইসলাম প্রথম আলো ডটকমকে মুঠোফোনে জানান, সকাল সাড়ে ১০টায় শহরের নওয়াববাড়ি সড়কে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে এই হরতালের ঘোষণা দেওয়া হয়। তবে সংবাদপত্রবাহী গাড়ি, অ্যাম্বুলেন্স, ওষুধ ও খাবারের দোকান হরতালের আওতামুক্ত থাকবে।শেখ মুহাম্মদ বেলালকে নেদারল্যান্ডসে বাংলাদেশের নতুন রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে সরকার। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আজ সোমবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।বর্তমানে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত অনুবিভাগের মহাপরিচালক হিসেবে কর্মরত আছেন শেখ বেলাল। তিনি নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূতের পাশাপাশি পোল্যান্ড ও বসনিয়া-হারজেগোভিনায় রাষ্ট্রদূত পদে সমবর্তী দায়িত্ব পালন করবেন।শেখ মুহাম্মদ বেলাল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বনবিদ্যা বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জনের পর অস্ট্রেলিয়ার মনাশ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও বাণিজ্যে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। এ ছাড়া তিনি যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জনপ্রশাসন বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।বিসিএস (পররাষ্ট্র ক্যাডার) ১০ ব্যাচের এ কর্মকর্তা ইতিপূর্বে যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, মালয়েশিয়া ও উজবেকিস্তানে বাংলাদেশ দূতাবাসে বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেন।ব্যক্তিগত জীবনে শেখ মুহাম্মদ বেলাল বিবাহিত এবং দুই সন্তানের বাবা।
নারীর উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নের বিরুদ্ধে সব ধরনের অপপ্রচার মোকাবিলা করতে কাল সোমবার সারা দেশে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হবে। দেশের সব উপজেলা, জেলা সদর ও রাজধানীতে সকাল ১০টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত এ মানববন্ধন হবে। এতে অংশ নেবেন সর্বস্তরের নারী-পুরুষ।মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হবে। কাল জাতীয় কন্যাশিশু দিবস। মানববন্ধন কর্মসূচির সঙ্গে মন্ত্রণালয় একই সঙ্গে দিবসটিও পালন করবে।আজ রোববার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ এই কর্মসূচির কথা জানান।সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়েছে, রাজধানীতে সচিবালয়ের পাশের আব্দুল গনি রোড, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, সংসদ ভবনের দক্ষিণ পাশের বড় রাস্তা, প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সামনেও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হবে।প্রতিমন্ত্রী বলেন, কতিপয় স্বার্থান্বেষী মহল নারীর উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নের বিরুদ্ধে বিভ্রান্তি ও কুরুচিপূর্ণ অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। নারীর সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণের কারণে নারী-পুরুষের অবাধ মেলামেশা বৃদ্ধি পাচ্ছে, ব্যভিচার বৃদ্ধি পাচ্ছে বলেও কেউ কেউ বলছে। নারীর খুব বেশি পড়াশোনার প্রয়োজন নেই—এমন দায়িত্বজ্ঞানহীন যুক্তিও তাঁরা দিচ্ছেন।মহিলাবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বলেন, নারীবান্ধব বিভিন্ন উদ্যোগের কারণে বাংলাদেশের নারীদের উজ্জ্বল উপস্থিতি ও সফল পদচারণ দেশে-বিদেশে প্রশংসিত হচ্ছে। নারীর অগ্রযাত্রা বাংলাদেশের আর্থসামাজিক অগ্রগতিতে নতুন মাত্রা ও গতি সঞ্চার করেছে। এ ধরনের সম্ভাবনাময় পরিস্থিতিতে দেশের নারীর অগ্রযাত্রা কতিপয় স্বার্থান্বেষী মহলের বিভ্রান্তিমূলক অপপ্রচারের বলি হতে পারে না। দেশের সচেতন সমাজ নারীর অগ্রযাত্রা রোধে এ ধরনের অপপ্রচারে নিশ্চুুপ বসে থাকতে পারে না।মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে নারীর উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নের পক্ষে সচেতনতামূলক প্রচার জোরদার করা হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন প্রতিমন্ত্রী।স্যামসাং বাংলাদেশ প্রথমবারের চালু করেছে ‘স্যামসাং স্মার্ট একাডেমি’। গ্যালাক্সি নোট থ্রি প্রি বুকিং গ্রাহকদের জন্য এ অ্যাকাডেমির যাত্রা শুরু হয়। স্যামসাং স্মার্ট একাডেমি উদ্যোগটি বিশ্বজুড়ে গ্রাহকদের সুবিধা দিতে বিভিন্ন অঞ্চল ভিত্তিতে গ্রহণ করা হয়েছে। সম্প্রতি এ স্মার্ট একাডেমি কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন স্যামসাং ইলেকট্রনিকস বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সি এস মুন বলেন, শুধু বিশ্বমানের পণ্য তৈরি করাই নয়, গ্রাহকদের জন্য সর্বোত্তম সেবা দিতেই স্যামসাংয়ের এমন উদ্যোগ। অনুষ্ঠানে মোবাইল বিভাগের প্রধান হাসান মেহদীসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। কর্মশালায় গ্যালাক্সি গিয়ার উদ্বোধন করা হয়। —বিজ্ঞপ্তিপ্রাইম দোলেশ্বরের অধিনায়ক ফরহাদ রেজা একাই, প্রায় নিঃসঙ্গ এক লড়াইয়ে নেমেছিলেন। আটে নেমে ৭৯ রানের দারুণ একটা ইনিংসও খেলেছেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কঠিন সমীকরণটি মিলিয়ে দিতে পারলেন না। অলিখিত ফাইনাল হয়ে ওঠা ম্যাচটি জিতে নিল গাজী ট্যাংক। ৬০ রানের বড় ব্যবধানে জিতে চ্যাম্পিয়ন হলো ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেটের।আজ মিরপুরের শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাট করেই কাজটা অর্ধেক সেরে নিয়েছিল গাজী ট্যাংক। এউইন মরগানের ৮৪ এবং অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহর ৫১ রানের সৌজন্যে ৭ উইকেটে ২৯৫ রানের বড় স্কোর গড়েছিল তারা। ইমরুল কায়েসের ৪০, রিয়াজুল ইসলামের ৩৬, রায়ান টেন ডেশকাটের ১৮ বলে ৩৫ রানের ইনিংসগুলোও বড় স্কোর গড়তে সাহায্য করেছিল দলকে।জবাবে ৯৫ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ‘ফাইনালটি’র উত্তাপ নিভিয়েই দিয়েছিল দোলেশ্বর। কিন্তু দুর্দান্ত ফর্মে থাকা মমিনুল হকের ৮৬ রানের ইনিংস দলের আশা ধীরে ধীরে জাগিয়ে তোলে। সপ্তম উইকেটে ফরহাদ রেজার সঙ্গে ৭৫ রানের জুটিও গড়েন। মাহমুদউল্লাহর বলে মমিনুল বোল্ড হয়ে ফিরে গেলেও দলের আশা বাঁচিয়ে রেখেছিলেন ফরহাদ। এবার সোহাগ গাজীর সঙ্গে অষ্টম উইকেটে ৫৭ রানের জুটি।কিন্তু ৮ রানের মধ্যে শেষ তিন উইকেট হারিয়ে ৪৫.৪ ওভারে ২৩৬ রানে অলআউট হয়ে যায় দোলেশ্বর।বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সুযোগ পেলে বাংলাদেশের নামই বদলে দিতেন বলে মন্তব্য করেছেন পরিবেশ ও বনমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। আজ সোমবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যবিরোধী এক মানববন্ধনে তিনি এ মন্তব্য করেন। এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।গোপালগঞ্জ জেলাকে উদ্দেশে করে খালেদার বক্তব্যকে কটাক্ষপূর্ণ, অশালীন ও অশোভন উল্লেখ করে বনমন্ত্রী বলেন, দেশের দু-দুবারের প্রধানমন্ত্রীর মুখে এ কথা মানায় না। গতকাল নিজ বাসায় খালেদা জিয়া বলেছিলেন, গোপালগঞ্জের নামই বদলে যাবে, গোপালগঞ্জ আর থাকবে না।বিডিআর বিদ্রোহের জন্য খালেদা জিয়াকে দায়ী করে হাছান মাহমুদ বলেন, যিনি দুপুর ১২টার আগে ঘুম থেকেই ওঠেন না, সেই তিনি বিডিআর বিদ্রোহের দিন সকাল আটটায় তার ক্যান্টনমেন্টের বাসা ছেড়ে নিরুদ্দেশ হয়ে গিয়েছিলেন। পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থার কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা খেয়ে খালেদা জিয়া এ দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছেন বলে মন্তব্য করেন তিনি।আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক বলেন, গোপালগঞ্জের প্রতি খালেদা জিয়ার এত ক্ষোভের কারণ কারও অজানা নয়। যাঁর প্রতি খালেদা জিয়ার ক্ষোভ, তিনি জানেন না যে ওই মহান ব্যক্তি শুধু গোপালগঞ্জের নয়, পুরো জাতির। আর গোপালগঞ্জে জাতির জনকের জন্ম না হলে আজ এ জাতি পরাধীনই থেকে যেত। খালেদা জিয়া এবং তাঁর জামায়াতে ইসলামীর দোসররা পাকিস্তানিদের গোলামিতে মুগ্ধ আর খুশি থাকতে পারতেন। এই স্বাধীনতা ওনাদের ভালো লাগে না, তাই পাকিস্তানিদের হাতে আবার এ দেশের স্বাধীনতা বিকিয়ে দিতে চায়।হাছান মাহমুদ বলেন, মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে কাদের মোল্লার ফাঁসিতে পাকিস্তানের জামায়াত যে ভাষায় কথা বলে ঠিক একই ভাষায় যখন বাংলাদেশের বিএনপি-জামায়াত কথা বলে তখন কারও বুঝতে বাকি থাকে না যে ওনার অন্তর জ্বালাটা কোথায়। তাই তো তিনি গোপালগঞ্জের নাম বদলানোর কথা মুখে বললেও অন্তরে নিশ্চয়ই বাংলাদেশের নাম পরিবর্তনের কথাই ভাবছিলেন। শুধু পুরোটা মুখে বলতে পারেননি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেটে ২৫ জন রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট প্রতিনিধি নির্বাচনে ১৮টিতে জয় পেয়েছে আওয়ামী ও বাম-সমর্থিত গণতান্ত্রিক ঐক্যপরিষদ। অন্যদিকে বিএনপি ও জামায়াত-সমর্থিত জাতীয়তাবাদী পরিষদ জয় পেয়েছে সাতটিতে।এদিকে সম্মিলিত গণতান্ত্রিক পরিষদ নামে একটি প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও তারা কোনও আসন পায়নি।আজ রোববার সন্ধ্যা সোয়া ছয়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে ভোট গণনা শেষে এ ফল ঘোষণা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) সহিদ আকতার হুসাইন। এর আগে গত ২০ আগস্ট সিনেটে ৩৫ জন শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচনেও ২৭টিতে জয় পায় আওয়ামী ও বাম-সমর্থিত শিক্ষকদের নীল দল। এর ফলে সিনেটের ৬০ জন নির্বাচিত প্রতিনিধির মধ্যে ৪৫টিতেই নির্বাচিত হলো গণতান্ত্রিক ঐক্য পরিষদ।গণতান্ত্রিক ঐক্য পরিষদের নির্বাচিত ব্যক্তিরা হলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃতি বিভাগের চেয়ারম্যান অসীম সরকার, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক এ কে এম গোলাম রব্বানী, মনোবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক মো. আজিজুর রহমান, মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক এস এম ইমামুল হক, সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষক মুহাম্মদ আবদুস সামাদ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এম ইকবাল আর্সনাল, মো. শারফুদ্দিন আহমদ, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর মোহাম্মাদ ফরাস উদ্দিন, নাট্যব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার, বৈশাখী টেলিভিশনের প্রধান সম্পাদক এ আর এম মনজুরুল আহসান বুলবুল, রূপালী ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম ফরিদ উদ্দিন, শিল্প উদ্যোক্তা এ এইচ এম এনামুল হক চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী এ বি এম বদরুদ্দোজা ও এস এম বাহালুল মজনুন, মানবাধিকার ও উন্নয়ন কর্মী নার্গিস জাহান বানু, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্য মাহফুজা খানম, সাবেক সিনেট সদস্য মোহাম্মাদ আবদুল বারী, অ্যাপোলো গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মাদ শামছুল হক ভূইয়া।জাতীয়তাবাদী পরিষদের নির্বাচিত ব্যক্তিরা হলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সহ-উপাচার্য আ ফ ম ইউসুফ হায়দার, রসায়ন বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক উম্মে কুলসুম রওজাতুর রোম্মান, মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষক মো. মোর্শেদ হাসান খান, সাবেক সিনেট সদস্য আবদুল আজিজ, বিএনপির মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক নাসির উদ্দিন আহমেদ অসীম, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব মাহফুজ উল্লাহ ও সাবেক সিনেট সদস্য মো. আবদুল হালিম পাটওয়ারী।গত শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রে ৩৪ হাজার ৫৪৫ ভোটারের মধ্যে ১৯ হাজার ১৬১ জন ভোট দেন। এর আগে ১৪ ও ২১ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত ঢাকার বাইরের ৪০টি কেন্দ্রে আট হাজার ২২১ জন ভোট দেন।দালালদের খপ্পরে পড়ে প্রাতারিত হওয়ার ভয় নেই, তার ওপর খরচও কম। সবচেয়ে বড় কথা বিদেশে গিয়ে চাকরির পাওয়া যাবে—এই নিশ্চয়তাও আছে। তবু সরকারি ব্যবস্থাপনায় বিদেশে যাওয়ার ব্যাপারে তেমন উৎসাহ নেই মহেশখালীর বাসিন্দাদের। ৪ থেকে ১৪ আক্টোবর পর্যন্ত ১০ দিন ধরে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় মাইকিং করা হলেও এ পর্যন্ত মাত্র ৭৫৮ জন নিবন্ধন করেছেন।উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ৪ অক্টোবর থেকে মহেশখালীর আটটি ইউনিয়ন তথ্য ও সেবাকেন্দ্রে বিদেশে চাকরিপ্রার্থীদের অনলাইনে নিবন্ধনের কার্যক্রম শুরু হয়। বিদেশে যেতে ইচ্ছুক লোকজনকে তথ্য ও সেবাকেন্দ্রে গিয়ে নিবন্ধন করার ব্যাপারে গ্রামেগঞ্জে মাইকিংয়ের মাধ্যমে প্রচারণা চালানো হয়। এর পরও তেমন সাড়া মেলেনি।এর আগেও মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য নিবন্ধন কার্যক্রম হয়েছিল। সে সময় দ্বীপের অনেকে নিবন্ধন করেছেন। চূড়ান্তভাবে ৫৮ জনকে নির্বাচিত করলেও তাঁরা এখনো মালয়েশিয়া যেতে পারেননি। সংশ্লিষ্ট লোকজনের মতে, মূলত এ কারণেই এবার নিবন্ধন কার্যক্রমে স্থানীয় লোকজন তেমন উৎসাহ দেখাননি।সম্প্রতি উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়ন তথ্য ও সেবাকেন্দ্রে গিয়ে দেখা গেছে, বিদেশে চাকরিপ্রার্থীদের কোনো সমাগম নেই। ১০ দিনে এই কার্যালয় থেকে নিবন্ধন করেছেন মাত্র ১০১ জন।নিবন্ধন করার সময় আবেদনকারীদের কাছ থেকে তথ্য ও সেবাকেন্দ্রগুলো সরকারের নির্ধারিত ফি বাবদ ১৫০ টাকা ও ফরম পূরণে সহায়তা করার জন্য ১০০ টাকা করে নিচ্ছে। তথ্যকেন্দ্রে নিবন্ধন করতে আসা স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এর আগে মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য বেশ কয়েকজন লোক নির্বাচিত হলেও তাঁরা এখনো যেতে পারেননি।হোয়ানক ইউনিয়ন তথ্য ও সেবাকেন্দ্রের পরিচালক মোহাম্মদ কায়সার উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, বেশ কয়েকবার এলাকায় মাইকিং করেও নিবন্ধনের ব্যাপারে জনগণের মধ্যে তেমন সাড়া পাওয়া যায়নি।মাতারবাড়ী ইউনিয়ন তথ্য ও সেবাকেন্দ্রের পরিচালক আলাউদ্দিন বলেন, এর আগে মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য এই এলাকা থেকে লটারি মাধ্যমে ১২ জন নির্বাচিত হলেও তাঁরা এখনো পর্যন্ত বিদেশে যেতে পারেননি। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আনোয়ারুল নাসের প্রথম আলোকে বলেন, মহশেখালীর জনসংখ্যা সাড়ে তিন লাখ। প্রতিবছর উপজেলা থেকে আড়াই থেকে তিন হাজার লোক বিদেশে যান। এ বছর জানুয়ারি মাসেও পাঁচ হাজার লোক মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য নিবন্ধন করেছিলেন। অথচ এবার মাইকিং করেও সাড়া পাওয়া যায়নি।জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন বিরোধীদলীয় নেতা বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন।আজ শুক্রবার বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মোবিন চৌধুরী প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, বিরোধীদলীয় নেতাকে দেওয়া জাতিসংঘ মহাসচিবের একটি চিঠি হাতে এসে পৌঁছেছে। ওই চিঠির বিষয়বস্তু কী—জানতে চাইলে, তিনি তা জানাতে অস্বীকৃতি জানান। তবে বান কি মুন ঠিক একই ধরনের আরেকটি চিঠি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছেও পাঠিয়েছেন বলে জানান তিনি।শিক্ষার্থীদের স্বার্থ ও লেখাপড়ার কথা বিবেচনা করে পরীক্ষার দিনে কোনো কর্মসূচি না দিতে বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই সঙ্গে তিনি আন্দোলনের নামে মানুষ হত্যা বন্ধ করারও আহ্বান জানান।আজ সোমবার গণভবনে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার ফলাফল হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ অনুরোধ জানান। নির্বাচনকালীন সরকারের শিক্ষা এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ প্রধানমন্ত্রীর হাতে এই ফলাফল তুলে দেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি বিরোধী দলের নেতার প্রতি বিশেষ করে ছেলেমেয়েদের নিরাপত্তার ব্যাপারে সজাগ থাকার ও তাদের পরীক্ষার দিন কোনো কর্মসূচি না দেওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।’এবার প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় ১৫ লাখ ৪৮ হাজার ৯৪৮ ছাত্রীসহ মোট ২৯ লাখ ৬১ হাজার ২৭৭ শিক্ষার্থী অংশ নেয়। এর মধ্যে ২৭ লাখ ৪৫ হাজার ৬১৪ শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়। এতে প্রাথমিকের দুই লাখ ৪০ হাজার ৯৬১ এবং ইবতেদায়ির সাত হাজার ২৫৩ শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে। প্রাথমিকে পাসের হার ৯৮ দশমিক ৫৮ এবং ইবতেদায়ি ৯৫ দশমিক ৮০। চলতি ২০১৩ সালের এই সমাপনী পরীক্ষা ২০ নভেম্বর শুরু হয়ে ২৮ নভেম্বর শেষ হওয়ার কথা থাকলেও বিরোধী দলের হরতাল ও অবরোধ কর্মসূচির কারণে কয়েকবার পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তনের ফলে তা ৬ ডিসেম্বর শেষ হয়।প্রধানমন্ত্রী পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, শিক্ষক ও অভিভাবকদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, শিক্ষা ছাড়া কোন জাতি সমৃদ্ধ হতে পারে না, এজন্য সরকার শিক্ষা খাতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছে।প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার আবারও নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করলে প্রাথমিক স্তরে কম্পিউটার ও প্রযুক্তি ভিত্তিক শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা হবে।প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আখতার হোসেন ও সংশ্লি­ষ্ট মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যুদণ্ডের রায় কার্যকর হলে সারা দেশে আগুন জ্বলবে বলে সরকারকে হুমকি দিয়েছেন তাঁর ছেলে শামীম সাঈদী।আজ রোববার বিকেলে খুলনার সার্কিট হাউস মাঠে ১৮-দলীয় জোটের জনসভায় শামীম সাঈদী এই হুমকি দেন।জনসভায় দেওয়া বক্তব্যের একপর্যায়ে শামীম বলেন, ‘দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ফাঁসির রায় কার্যকর করা হলে সারা দেশে আগুন জ্বলবে।’শামীম সাঈদী বলেন, ‘সরকার ষড়যন্ত্র করে শতাব্দীর নিকৃষ্টতম অভিযোগে আমার পিতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে গত সাড়ে তিন বছর ধরে কারাগারে বন্দী করে রেখেছে। শুধু বন্দী করে রেখেই ক্ষান্ত হয়নি এ জালিম সরকার। তাঁর বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের রায়ও দেওয়া হয়েছে।’ তিনি হুমকি দিয়ে বলেন, সরকার ফাঁসির এই রায় কার্যকর করার মতো দুঃসাহস দেখালে এই বাংলাদেশে আগুন জ্বলবে। তাই সরকারকে ‘এমন দুঃসাহস’ না দেখানোর জন্য তিনি আহ্বান জানান।এ সময় সরকারবিরোধী নানা স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে সভাস্থল। সাঈদীর ছবি লাগানো ব্যানার ও ফেস্টুন নেড়ে এ বক্তব্যে সমর্থন জানান সভাস্থলে উপস্থিত জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা। জনসভায় উপস্থিত ১৮-দলের নেতা-কর্মীরা করতালি দিয়ে তাঁর বক্তব্যকে সমর্থন জানান।উল্লেখ্য, মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার দায়ে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।বিজ্ঞাপনের ‘খেপ’ থেকে বলিউড তারকারা ভালোই কামিয়ে নেন। আর যদি একই বিজ্ঞাপনে যুগল হিসেবে কাজ করেন তারকারা, তাহলে সোনায় সোহাগা। ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন আর অভিষেক বচ্চন যেমন সম্প্রতি একটি প্রেশার কুকারের বিজ্ঞাপনচিত্রে কাজ করেই ৩০ কোটি রুপি আয় করেছেন। বলিউডের তারকা দম্পতির একই বিজ্ঞাপন থেকে সবচেয়ে বেশি আয় করার নতুন রেকর্ড।এর আগে শাহরুখ খান ও গৌরি দম্পতি একটি বিজ্ঞাপন করে ১৮ কোটি রুপি পেয়েছিলেন। শ্যাম্পুর বিজ্ঞাপন করে সাইফ আলী খান ও কারিনা কাপুর আয় করেন ১০ কোটি। জন এব্রাহাম ও বিপাশা এক বিজ্ঞাপনে আয় করেন আট কোটি রুপি। কাজল-অজয় দম্পতি আয় করেছেন সাড়ে সাত কোটি। অমিতাভ বচ্চন ও জয়া বচ্চন একটি অলংকারের বিজ্ঞাপন করে আয় করেছেন ১০ কোটি রুপি। মিড ডে।শাহবাগে গতকাল গাড়ি পোড়ানোর ঘটনায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ১৮-দলীয় জোটের ১৭ জনের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় একটি মামলা হয়েছে। এ ছাড়া মামলায় দুই থেকে তিনজনকে অজ্ঞাত আসামি হিসেবে দেখানো হয়েছে। মামলার অপর আসামিরা হলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকা, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও মির্জা আব্বাস, যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, ঢাকা মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব আবদুস সালাম, বিএনপির নেতা আমানউল্লাহ আমান, বরকত উল্লাহ বুলু, সালাহউদ্দিন আহমেদ, ছাত্রদলের সভাপতি আবদুল কাদের ভূঁইয়া, ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল হক নাসির, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সভাপতি মাহিদুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা, ঢাকা মহানগর উত্তরের ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির রওশন, যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম ওরফে নিরব, যুবদলের মহানগর উত্তর সভাপতি মামুন হাসান এবং জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতা ও শিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি শফিকুল ইসলাম মাসুদ। এ ছাড়া অজ্ঞাত আরও দুইজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। পরিকল্পিতভাবে গাড়ি পুড়িয়ে মানুষ হত্যার অভিযোগে গতকাল বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১২টার দিকে শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সোহেল রানা বাদী হয়ে মামলাটি করেন। রমনা বিভাগীয় পুলিশের উপকমিশনার মারুফ হাসান সরদার এই মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আজ শুক্রবার এসআই সোহেল রানা বলেন, মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ১৮-দলীয় জোটের নেতাদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ উসকানি, পরিকল্পনা, ষড়যন্ত্র, সহায়তা ও  অর্থায়নে দুর্বৃত্তরা আলোচ্য মামলার ঘটনা ঘটিয়েছে। আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত বাসটি জব্দ তালিকা প্রস্তুত করে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। অবরোধের সমর্থনে মানুষকে পুড়িয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে যাত্রীবাহী বাসে পেট্রলবোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পরিকল্পিতভাবে মানুষ হত্যা, গুরুতর জখম, জানমালের ক্ষতিসাধনসহ জনমনে ভীতি ও আতঙ্ক সৃষ্টি করা হয়েছে। যা পেনাল কোডের ৩২৬/৩০৭/৩০২/৩৪/১০৯/১১৪/৪৩৫/৪২৭ ধারাসহ ১৯৯৮ সালের বিস্ফোরক উপাদানাবলি আইনের ৩/৬ ধারার অপরাধ। অজ্ঞাতনামা দুজন আসামিসহ এজাহারে উল্লিখিত বাকিদের বিরুদ্ধে বর্ণিত ধারায় নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে।প্রসঙ্গত, গতকাল সন্ধ্যায় বিহঙ্গ পরিবহনের একটি বাস শাহবাগ শিশুপার্কের সামনে যাওয়ার পরই বাইরে থেকে কেউ বাসটি লক্ষ্য করে পেট্রলবোমা ছুড়ে মারে। এরপর যাত্রীরা হঠাত্ করেই বাসের সামনের দিকে আগুন দেখতে পান। সেই আগুন মুহূর্তেই ভেতরের দিকে ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার লাইটপোস্ট ভেঙে সড়ক বিভাজকের ওপর উঠে যায়। আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে সাংবাদিক, ব্যাংকার, ব্যবসায়ী, গাড়িচালকসহ ১৯ জন দগ্ধ হন। আজ দুপুর পর্যন্ত এ ঘটনায় দুজনের মৃত্যু হয়েছে।নতুন বছরের প্রথম দিন থেকেই অনির্দিষ্টকালের অবরোধের ডাক দিয়েছে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোট। আগামী ১ জানুয়ারি বুধবার থেকে পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত অবরোধ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা করেছে তাঁরা। সেই সঙ্গে কাল মঙ্গলবার সারা দেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করবে তারা।আজ সোমবার সন্ধ্যায় বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার মাহবুব হোসেন তাঁর বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন।খন্দকার মাহবুব অভিযোগ করেন, ১৮ দলের গণতন্ত্রের অভিযাত্রা কর্মসূচিতে সরকার শুধু বাধা দেয়নি, পথে পথে কর্মীদের নির্যাতন করেছে। এর প্রতিবাদে কাল সারা দেশে বিক্ষোভ করবে জোট। তিনি খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে জোটের নেতা-কর্মীদের রাজপথে নেমে আসার আহ্বান জানান। সেই সঙ্গে নির্বাচনের তফসিল বাতিল করারও দাবি জানান তিনি।২৯ ডিসেম্বর গণতন্ত্রের অভিযাত্রা কর্মসূচি ছিল ১৮-দলীয় জোটের। কিন্তু পুলিশের কঠোর অবস্থানের মুখে নেতা-কর্মীরা রাস্তায় নামতে পারেননি। খালেদা জিয়াও পুলিশের বাধায় বাসভবন থেকে বের হতে না পেরে আজও একই কর্মসূচি অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন। কিন্তু আজও তিনি পুলিশের বাধার মুখে পড়ে বাড়ি থেকে বের হতে পারেননি। বাড়ির সামনে থেকে দলের ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরীকে আটক করা হয়।গতকাল সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজ উদ্দিন তফসিল বাতিল না হওয়া পর্যন্ত ঢাকার বাইরে বিভাগ, জেলা ও উপজেলা সদরে রাজপথ, রেলপথ ও নৌপথে অবস্থান কর্মসূচি পালনের ঘোষণা করেছিলেন। এরপরে তাঁকে আটক করা হয়।
১০ কার্যদিবস বিরতির পর নবম জাতীয় সংসদের ১৯তম অধিবেশনের মুলতবি বৈঠক কাল সোমবার বিকেল পাঁচটা থেকে বসছে। বৈঠকে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (সংশোধন) বিল ২০১৩ উত্থাপিত হতে পারে।সংসদ সচিবালয় সূত্র জানায়, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধনের বিলটি উত্থাপনের ব্যাপারে আইন মন্ত্রণালয় থেকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। ১৬ সেপ্টেম্বর মন্ত্রিসভা আরপিও সংশোধনের প্রস্তাব অনুমোদন করে।বিলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনে দণ্ডিত ব্যক্তিদের সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে। এ ছাড়াও প্রার্থীর জামানত ১০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০ হাজার টাকা করা হয়েছে। প্রার্থীর নির্বাচনী ব্যয় ১৫ লাখ থেকে বাড়িয়ে ২৫ লাখ টাকা করা হয়েছে। তবে দলীয় প্রধানের দেশের বিভিন্ন স্থানে ভ্রমণের ব্যয় নির্বাচনী ব্যয়ের আওতাভুক্ত রাখা হয়েছে। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, দলের তহবিলে কোনো ব্যক্তি অনুদান হিসেবে সর্বোচ্চ ২৫ লাখ এবং প্রতিষ্ঠান সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত দিতে পারবে। বিদ্যমান আইনে একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ ১০ লাখ এবং প্রতিষ্ঠান ২৫ লাখ টাকা পর্যন্ত অনুদান দিতে পারে। প্রস্তাবিত আইনে আরও বলা হয়েছে, প্রার্থীকে নির্বাচনী এলাকার ভোটারদের মধ্য থেকে এজেন্ট নিয়োগ করতে হবে।বিলটি আইনে পরিণত হলে মানবতাবিরোধী অপরাধে সাজা পাওয়া ব্যক্তিরা জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। এখন পর্যন্ত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়ে জামায়াতে ইসলামীর নেতা গোলাম আযম, দেলোয়ার হোসাইন সাঈদী, আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ, মুহাম্মদ কামারুজ্জামান ও আবদুল কাদের মোল্লা দণ্ডিত হয়েছেন।সংসদের চলতি অধিবেশন ১২ সেপ্টেম্বর শুরু হয়। ১৯ সেপ্টেম্বর অধিবেশন মুলতবি করা হয়। প্রধান বিরোধী দল বিএনপি ও তাদের শরিকরা এখন পর্যন্ত এ অধিবেশনে যোগ দেয়নি।অমিতাভ এখনোএখনো এই ৭১ বছর বয়সে চুটিয়ে কাজ করছেন। নিকট ভবিষ্যতে অবসর নেওয়ারও কোনো পরিকল্পনা নেই অমিতাভ বচ্চনের। এখনো অমিতাভ যেকোনো তরুণের মতোই শারীরিকভাবে যথেষ্ট শক্তপোক্ত। কিন্তু কী এই রহস্য চিরতারুণ্যের? কঠোর শারীরিক অনুশীলন আর স্বাস্থ্যসম্মত জীবন যাপন। এই বয়সেও অমিতাভ রোজ নিয়ম মেনে জিম করেন বলে জানিয়েছেন। নিয়মিত ব্লগার অমিতাভ তাঁর ব্লগে লিখেছেন, ‘সব ধরনের ব্যথা-যন্ত্রণা, বিরতি, আলস্য, সব কিছুর পরও নিয়মিত জিমে যাওয়া। এটাই মনে হয় আসল ফলটা দেয়।’শিল্পার নির্বাসনচলচ্চিত্র দুনিয়া থেকে যেন এক রকম অবসরই নিয়ে ফেলেন। সর্বশেষ তিন বছরে কোনো ছবি মুক্তি পায়নি। অনেক দিন পর ছবির দুনিয়ায় শিল্পা শেঠি পা রাখলেন বটে, কিন্তু রুপালি পর্দায় নয়, পর্দার পেছনে। প্রযোজক হিসেবে নতুন একটি ছবি নিয়ে আসছেন শিল্পা। বাজারে গুঞ্জন আছে, ধাড়কান ছবির সিক্যুয়েলে তিনি আবার কাজ করবেন। তবে শিল্পা এই গুঞ্জন উড়িয়ে দিয়েছেন। আরও অন্তত দেড় বছর সিনেমায় কাজ করবেন না বলে জানিয়েছেন শিল্পা, ‘আমি আরও দেড় বছর অভিনয় থেকে বিরতি নেব। কারণ, এটা আমার সন্তানের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ সময়। অভিনয়ও আমি খুব একটা মিস করি না।’প্রতারক মেন্ডেস!ক্রিস্টেন স্টুয়ার্ট যে কাজ করে সবার নিন্দা কুড়িয়েছেন, সেই একই পথেই নাকি হেঁটেছেন এভা মেন্ডেসও। হলিউড তারকা মেন্ডেস প্রেমিক রায়ান গসলিংকে ফাঁকি দিয়ে পরিচালক জর্জ অগাস্তোর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছেন বলে খবর রটেছে। বিয়ে করে থিতু হতে চান গসলিং। চান কোল আলো করা সন্তানও। কিন্তু গসলিংয়ের এই দুই চাওয়া পূরণ করতে গিয়ে এখনই নিজের ক্যারিয়ারের সর্বনাশ ডেকে আনার ইচ্ছা নেই মেন্ডেসের। এ কারণে দুজনের সম্পর্কে ফাটল দেখা গিয়েছে বলে জানিয়েছে কাছের একটি সূত্র। পেরুভিয়ান পরিচালক অগাস্তোর সঙ্গে এর আগেও প্রেম করেছেন মেন্ডেস। দুজনের একসঙ্গে একটি ব্যবসাও আছে।শাহরুখে মুগ্ধতাশাহরুখ খানের সবচেয়ে বড় ভক্ত যে করন জোহর, এটা কারোরই অজানা নয়। বলিউডে সিংহাসন ধরে রাখার রাজনীতিতে শাহরুখ অনেক বন্ধুকেই হারিয়েছেন। কিন্তু করনের সঙ্গে তাঁর দোস্তি আজও অটুট। করন আবারও শাহরুখে নিজের মুগ্ধতা সম্পর্কে বলেছেন, শাহরুখ জীবনে যত পুরস্কার পেয়ে থাকুন, কোনোটাই তাঁর জন্য নাকি যথেষ্ট নয়, ‘ও খুবই প্রাণশক্তিতে ভরপুর, আকর্ষণীয়, ভারতের সর্বকালের অন্যতম সেরা অভিনেতা। যত সম্মানই সে পেয়ে থাকুক, সেগুলো তাঁর যোগ্যতার তুলনায় সামান্যই।’ ২ নভেম্বর ৪৮তম জন্মদিন পালনের অপেক্ষায় থাকা শাহরুখের প্রতি ভক্তদের ভালোবাসা দিনকে দিন বাড়বে বলেই ভবিষ্যদ্বাণী করনের।খ্যাতির বিড়ম্বনাখ্যাতি যেন শাঁখের করাত। খ্যাতির মোহে কে না ভোগে। কিন্তু এই খ্যাতি একসময় বিড়ম্বনার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। মাইলি সাইরাসের যেমন হয়েছে। খ্যাতি আর প্রচারের আলোয় হাঁপিয়ে উঠেছেন এই সংগীত তারকা। মিডিয়ার কৌতূহলের কেন্দ্রে থাকতে থাকতে মন বিষিয়ে উঠেছে। ২০ বছর বয়সী সাইরাস সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, খ্যাতিবিহীন জীবনটা আবার ফিরে পেতে মনটা ব্যাকুল হয়ে উঠেছে তাঁর। তবে এমন নয়, বিনোদন জগতে এসে এখন আফসোস হচ্ছে তাঁর। ছোট্টটি থাকতেই এই জগৎটা বেছে নিয়েছিলেন। আসলে সেই শৈশব থেকেই মিডিয়া তাঁর পিছু ছুটছে বলেই একটা ক্লান্তি এসে ভর করেছে সাইরাসের মনে।রাজীব হাসানসূত্র: আইএএনএস, এএনআই, টিএনএন, পিটিআইরাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটকের সামনে শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কে সড়ক দুর্ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী নিহত হয়েছেন। তাঁর নাম সাবরিনা জাহান। তিনি সমাজবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।সাবরিনার বাড়ি বগুড়ার কাহালু উপজেলায়। তাঁর বাবার নাম হামিদুর রহমান।এ ঘটনার পর বেলা একটা থেকে দুইটা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজলা ফটকে শিক্ষার্থীরা গাড়ি ভাঙচুরের চেষ্টা করলে পুলিশ রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় পুলিশের ছোড়া রাবার বুলেটে মঞ্জুর আহমেদ ও ইমরুল কায়েস নামের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের দুই শিক্ষার্থী বিদ্ধ হন। বেলা দুইটার দিকে প্রশাসনের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেন শিক্ষার্থীরা।প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, সকাল ১০টার দিকে সাবরিনা চারুকলা বিভাগের বান্ধবী জীবন নাহার সুমির সঙ্গে রিকশায় করে বিনোদপুর বাজারের দিকে যাচ্ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের কাছে পৌঁছালে রিকশার সামনের একটি অংশ ভেঙে গেলে তাঁরা দুজন রাস্তায় পড়ে যান। এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি অটোরিকশা সাবরিনাকে চাপা দিলে তাঁর মাথায় আঘাত লাগে। স্থানীয়রা সাবরিনাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়। সাবরিনার বান্ধবী সুমি সামান্য আহত হয়েছেন। রিকশা ও অটোরিকশা চালক পালিয়ে গেছেন।বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-উপদেষ্টা অধ্যাপক ছাদেকুল আরেফিন প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, সাবরিনার লাশ বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হলে রাখা হয়েছে। তাঁর পরিবারকে খবর দেওয়া হয়েছে। বিকেলে পরিবারের কাছে হস্তান্তরের ব্যবস্থা করা হবে।প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় গড় পাসের হার ৯৮ দশমিক ৫৮ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে দুই লাখ ৪০ হাজার ৯৬১ জন। অন্যদিকে সমমানের ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় গড় পাসের হার ৯৫ দশমিক ৮০ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে সাত হাজার ২৫৩ জন।আজ সকালে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা এবং শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের নেতৃত্বে মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ফলাফলের অনুলিপি হস্তান্তর করেছেন। এরপর দুপুর সাড়ে ১২টায় নিজ মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে ফলাফল তুলে ধরেন নুরুল ইসলাম।ব্রিফিংয়ে মন্ত্রী বলেন, প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় মোট অংশ নেয় ২৫ লাখ ১৯ হাজার ৩২ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে পাস করেছে ২৪ লাখ ৮৩ হাজার ১৪২ জন। এবারে জিপিএ-৫ প্রাপ্তি ও পাসের হারের ভিত্তিতে সারা দেশে প্রথম হয়েছে ঢাকার মিরপুরে অবস্থিত মনিপুর উচ্চবিদ্যালয়।পাসের হার বিবেচনায় সাত বিভাগের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে বরিশাল বিভাগ। আর ৬৪টি জেলার মধ্যে যশোর ও লালমনিরহাট প্রথম হয়েছে। জেলার দিক দিয়ে সবচেয়ে নিচে রয়েছে সিলেট জেলা।গড় পাসের হারের দিক থেকে ছেলে-মেয়ে প্রায় সমান। এর মধ্যে ছাত্রদের পাসের হার ৯৮ দশমিক ৬২ শতাংশ। আর ছাত্রীদের পাসের হার ৯৮ দশমকি ৫৪ শতাংশ।প্রাথমিকও গণশিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, পাঁচ বছরের সংক্ষিপ্ত মূল্যায়ন হলো সব সূচকেই অগ্রগতি হচ্ছে। শিক্ষার মানও বাড়ছে।প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শ্যামল কান্তি ঘোষ গতকাল রোববার জানান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বেলা একটায় ফল পাওয়া যাবে।
লা লিগায় এক যুগেরও বেশি সময় পরে নগর প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে হারের মুখ দেখতে হলো রিয়াল মাদ্রিদকে। সেটাও আবার নিজেদেরই মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে। মেনে নেওয়াটা একটু কঠিনই বটে। তবে এই হারের পেছনে কোনো অজুহাত দাঁড় করাচ্ছেন না ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। ভালো পারফরম্যান্স যে দেখাতে পারেননি, সেটা সরাসরিই স্বীকার করে নিয়েছেন এই পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড। পরাজয়ের দায় নিয়েছেন নিজের কাঁধে, সতীর্থদের কাঁধেও। বলেছেন, এই পরাজয়ের জন্য কোচকে দুষলে চলবে না।বার্নাব্যুতে এ বছরের মে মাসেও রিয়ালকে হারের স্বাদ দিয়েছিল অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ। তবে সেটা ছিল কোপা ডেল রের ফাইনাল। নগর প্রতিদ্বন্দ্বীদের ২-১ গোলে হারিয়েই কাপের শিরোপা জিতেছিল অ্যাটলেটিকো। সেই হারের প্রতিশোধ নেওয়ার সুবর্ণ সুযোগই এসেছিল রিয়ালের সামনে। কিন্তু সেটা তো হলোই না, উল্টো ১-০ গোলের হার নিয়ে হতাশাজনকভাবেই মাঠ ছাড়তে হলো। যে অ্যাটলেটিকো একসময় তাদের হারাত শুধু স্বপ্নে, তারাই এখন রিয়ালের বিপক্ষে টানা দুটো জয়ে যেন আকাশে উড়ছে!ম্যাচ শেষে রোনালদো নিজেদের ব্যর্থতার কথাটা স্বীকার করেছেন বেশ স্পষ্টভাবেই। কোনো রাখঢাক না রেখেই বলেছেন, ‘আমরা ভালো খেলতে পারিনি। জয়টাও আমাদের প্রাপ্য ছিল না। অ্যাটলেটিকো শুরুতেই একটি গোল করেছে আর বেশ ভালোভাবেই জিতেছে। আমরা খুব একটা সুবিধাজনক অবস্থায় ছিলাম না। কারণ, তাদের সব খেলোয়াড়ই ছিল বলের পেছনে। ফলে আমাদের জন্য গোল করাটা ছিল খুবই কঠিন কাজ।’গতকাল প্রথমার্ধের ১১ মিনিটেই গোল করে অ্যাটলেটিকোকে এগিয়ে দিয়েছিলেন দারুণ ফর্মে থাকা ডিয়েগো কস্তা। লিগে লিওনেল মেসির সমান সাত ম্যাচে আট গোল করেছেন কস্তা। সেই গোলটাই আর শোধ করতে পারেনি রিয়াল। এই হারের পর তারা বার্সেলোনা আর অ্যাটলেটিকোর চেয়ে পাঁচ পয়েন্টের ব্যবধানে পিছিয়ে পড়েছে। এখন সেই ব্যবধান ঘোচানোর জন্য সামনের ম্যাচগুলোর দিকেই তাকাতে চাইছেন রোনালদো, ‘এই মৌসুমটা আমাদের জন্য অনেক বড় কিছু হতে পারে, এই আশা নিয়েই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। নতুন খেলোয়াড় আর কৌশলের জন্য আমাদের কিছু পরিবর্তন হয়েছে। কিন্তু আমাদের দলটা খুবই দারুণ। আনচেলত্তিও খুব ভালো কোচ। শিরোপা জয়ের জন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮-দলীয় জোটের ডাকা টানা তিন দিনের হরতালের প্রথম দিন আনোয়ারায় সংবাদপত্রবাহী গাড়ি ভাঙচুর করেছে পিকেটারেরা। এ ছাড়া সংবাদপত্রের দুজন এজেন্টও পিকেটারদের হাতে লাঞ্ছিত হয়েছেন। এ ঘটনায় উপজেলার সংবাদপত্র এজেন্ট ও হকাররা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।হরতাল শুরুর দিন ভোর থেকে উপজেলার বিভিন্ন সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে ও গাছের গুঁড়ি ফেলে সড়ক অবরোধ করে আন্দোলনকারীরা। ওই দিন সকাল ১০টায় শাহ মিরপুর এলাকায় সংবাদপত্রবাহী অটোরিকশা (চট্টমেট্টো ১১-১০৫৬) ভাঙচুর করে তারা। এ সময় প্রথম আলোর আনোয়ারা অঞ্চলের এজেন্ট মো. আলী ও জসিম উদ্দিন পিকেটারদের হাতে লাঞ্ছিত হন। গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় আনোয়ারার সংবাদপত্র এজেন্ট ও বিক্রেতারা ক্ষোভ প্রকাশ করে হরতাল চলাকালে পত্রিকা বিক্রি বন্ধের সিদ্ধান্ত নেন। পরে উপজেলার কর্মরত সাংবাদিকদের অনুরোধে তাঁরা সেই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করেন।এ ব্যাপারে মো. আলী বলেন, গাড়ির সামনে সংবাদপত্র লেখা দেখেও পিকেটাররা গাড়িতে হামলা করেছে। এটা দুঃখজনক।বিশ্ববাজারে স্মার্টফোনের দাম ক্রমশ কমছে। বিশ্বের যে দেশগুলোতে স্মার্টফোনের চাহিদা বাড়ছে সেখানে স্মার্টফোন নির্মাতারা নিজেদের ব্র্যান্ডের প্রচারণার জন্য কমদামের স্মার্টফোন বাজারে ছাড়ছে। সম্প্রতি বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইডিসির গবেষকরা বলছেন, স্মার্টফোনের দাম কমার ধারা অব্যাহত থাকবে। আইডিসির সাম্প্রতিক পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০১২ সালের তুলনায় ২০১৩ সালে স্মার্টফোনের গড় দাম কমবে ১২.৮ শতাংশ। ২০১২ সালে স্মার্টফোনের গড় দাম ৩৮৭ মার্কিন ডলার থাকলেও এ বছর তা ৩৩৭ মার্কিন ডলারে এসে দাঁড়াবে। আইডিসির বাজার বিশ্লেষকেরা আশা করছেন, স্মার্টফোনের ক্ষেত্রে বর্তমান দাম কমার ধারা অব্যাহত থাকলে নতুন ক্রেতারা ফিচার ফোনের তুলনায় আরও বেশি করে কম দামের স্মার্টফোন কিনতে আগ্রহী হবেন। আইডিসির তথ্য অনুযায়ী, ২০১৩ সালে এশিয়া অঞ্চলে একটি স্মার্টফোনের গড় দাম ২৬২ মার্কিন ডলার যা ২০১৭ সালে ২১২ ডলারে এসে দাঁড়াতে পারে। এশিয়া অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হবে সাশ্রয়ী দামের স্মার্টফোন।সংযুক্ত আরব আমিরাতে প্রবাসী বাংলাদেশির কমতি নেই। আল আইন বিশ্ববিদ্যালয়ের যে মিলনায়তনে বিশ্ব যুব দাবার আয়োজন, সেখানকার ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে চাকরি করেন ইসমাইল। বাংলাদেশের একমাত্র দাবাড়ু ফাহাদ রহমানের জন্য ভালোবাসার কমতি ছিল না তাঁর। প্রতিদিনের খেলা শেষে জিতলেই ফাহাদের জন্য বরাদ্দ থাকত কিটক্যাট, জুস ও চকোলেট। এত সব উপহার তো পেয়েছেই ফাহাদ, দেশের জন্য বয়ে এনেছে গৌরব—বিশ্ব যুব দাবার অনূর্ধ্ব-১০ গ্রুপের ব্লিত্জ বিভাগে জিতেছে রুপা। বাংলাদেশের সর্বকনিষ্ঠ ফিদে মাস্টারের এমন অর্জনে প্রতিদিনই উত্সাহ জোগাতে আসতেন অনেক প্রবাসী বাংলাদেশি। টুর্নামেন্টের শেষ দিনে ফাহাদের মাথায় বাংলাদেশের পতাকা বেঁধে দেন আল আইন বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশি শিক্ষক উল্লাস। লাল-সবুজের সেই পতাকা, একগাদা চকোলেট আর টুর্নামেন্ট থেকে পাওয়া রুপার পদকটা নিয়ে কাল রাতে দেশে ফিরেছে বাংলাদেশের সর্বকনিষ্ঠ ফিদে মাস্টার।আজ সকাল থেকেই গণমাধ্যমকর্মীদের আনাগোনা ফাহাদদের বাড্ডার ভাড়া বাসায়। সবাইকে সামলে ঠিকই ইন্টারনেটে দাবা খেলতে মগ্ন দেখা গেল গুলশান মডেল স্কুলের পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রকে।স্ট্যান্ডার্ড দাবায় ফাহাদ খেলেছে ১১ রাউন্ড। এর মধ্যে জিতেছে ৮ ম্যাচ, একটিতে ড্র। সাড়ে আট পয়েন্ট পেয়ে হয়েছে পঞ্চম। ফাহাদের দাবি, ‘আমি তৃতীয়ই হয়েছি। প্রথম ম্যাচে ওয়াকওভার পাই। কিন্তু তিনজনের সমান পয়েন্ট থাকায়, ওয়াকওভারের কারণে আরবিটাররা আমাকে পঞ্চম বানিয়েছে। ওয়াকওভার পাওয়াটা কি আমার দোষ!’দ্রুতগতির খেলায় ফাহাদ জিতেছে রুপা। সাত ম্যাচে একটিতেও হারেনি, ৬ জয়ের সঙ্গে একটি ড্র। কিন্তু এতেই সন্তুষ্ট নয় ফরিদপুরের ১০ বছরের বালক, ‘আরও ভালো করার ইচ্ছা ছিল আমার। চেয়েছিলাম এই টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হতে। কিন্তু তাড়াহুড়া করে চাল দিতে গিয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে ড্র করে ফেলি। এটা সাত রাউন্ডের খেলা। আর একটা রাউন্ড সুযোগ পেলেই চ্যাম্পিয়ন হতে পারতাম।’এই টুর্নামেন্টে ফাহাদ হারিয়েছে ভারতের ফিদে মাস্টার রাম আরবিন্দকে। যাকে ভারতের খুদে কার্লসেন বলেই চেনে সবাই। তবে আরবিন্দ নয় সবচেয়ে কঠিন প্রতিপক্ষ মনে হয়েছে জার্মানির মার্কো দবরিকভকে, ‘ভারতের কোনো দাবাড়ুর কাছে হারিনি। দুজনকে হারিয়েছি, একজনের সঙ্গে ড্র করেছি। এদের চেয়ে কঠিন প্রতিপক্ষ মার্কে। ওকে হারাতে বেশ কষ্ট হয়েছে আমার।’পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান কম্পিউটার সোর্স আর্থিক সহযোগিতা করলেও সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভিসা পেতে খুবই দুর্ভোগে পড়তে হয় ফাহাদকে। সেই কষ্টের কথা শোনাচ্ছিল ফাহাদ, ‘আমরা ঢাকা থেকে ভিসা নেইনি। আয়োজকেরা ইন্টারনেটে একটি অ্যাক্রিডিটেশন ফরম পাঠিয়েছিল। সেটা দেখালে বিমানবন্দরে কোনো সমস্যা হবে না—এমনটাই আয়োজকেরা জানিয়েছিল। কিন্তু দুবাই বিমানবন্দরে আমরা ১২ ঘণ্টা আটকা পড়ে ছিলাম। আয়োজকেরা শেষ পর্যন্ত ভিসা জোগাড় করে দেয়। এরপর খেলা শুরুর ঘণ্টা তিনেক আগে আল আইনে পৌঁছাই।’ফিদে মাস্টার ফাহাদের স্বপ্ন দ্রুত আন্তর্জাতিক মাস্টার নর্ম পাওয়া, ‘ফেডারেশনে কোনো খেলা নেই। কিন্তু বেশি বেশি টুর্নামেন্ট না খেললে আন্তর্জাতিক মাস্টারের নর্ম হবে কীভাবে? এ জন্য দেশের বাইরে সব টুর্নামেন্টে অংশ নিতে চাই।’ বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ গ্র্যান্ডমাস্টার হওয়ারও স্বপ্ন দেখছে সে, ‘আগামী এপ্রিলে বিশ্ব জুনিয়র দাবা চ্যাম্পিয়নশিপে খেলতে চাই। সেখানে চ্যাম্পিয়ন হলে সরাসরি গ্র্যান্ডমাস্টার খেতাব দেওয়া হয়। আমি বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ গ্র্যান্ডমাস্টার হওয়ার স্বপ্ন দেখছি।’বিশ্বনাথান আনন্দকে হারিয়ে সম্প্রতি বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের খেতাব পেয়েছেন নরওয়ের মাগনাস কার্লসেন। সেই কার্লসেনকেই আদর্শ মানে ফাহাদ। খুদে কার্লসেনকে এরই মধ্যে হারিয়েছে। কে জানে ভবিষ্যতে বাংলাদেশ পেতে যাচ্ছে একজন কার্লসেন!
ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের জন্য বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। দলটি মঙ্গলবার ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়বে। সফরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বিপক্ষে সাতটি ওয়ানডে খেলবেন বাংলাদেশের তরুণেরা। দলটির কোচের দায়িত্বে আছেন রিচার্ড ম্যাকিন্স। ম্যানেজার হিসেবে যাচ্ছেন সাবেক টেস্ট ওপেনার এহসানুল হক। ওয়ানডে সিরিজের সবগুলো ম্যাচই গায়ানাতে। বাংলাদেশের ম্যাচ সাতটি ৭, ৯, ১১, ১৪, ১৬, ১৯ ও ২১ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে।বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল: মেহেদি হাসান মিরাজ (অধিনায়ক), জসিম উদ্দিন, সাদমান ইসলাম, নাজমুল হোসেন, মুনিম শাহরিয়ার, ইয়াসির আলী চৌধুরি, মুসাদ্দেক হোসেন, সাইদ সরকার, জয়রাজ শেখ, আবু হায়দার, রিফাত প্রধান, নাহিদ হাসান, নিহাদ জামান, জুবায়ের হোসেন, রাহাতুল ফেরদৌস।অপেক্ষমাণ: সিফাত ইসলাম, আবু সায়েম চৌধুরী, মোহাম্মদ সুমন, মেহেদি হাসান, আশিকুল ইসলাম ও সুজাত হাসান।খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার ৫ নম্বর বাবুছড়া ইউনিয়নের দূর্গম জারুলছড়ি এলাকার ১১টি গ্রামের মানুষকে বিনা মূল্যে চিকিৎসাসেবা দিয়েছে সেনা চিরন্তন ২৮। ২৬ অক্টোবর জারুলছড়ি বটতলী কমিউনিটি ক্লিনিকে ২৫০ জন রোগীকে চিকিৎসাসেবা দেয় তারা। এ সময় রোগীদের বিনা মূল্যে ওষুধ সরবরাহ করা হয়।চিকিৎসাসেবা দেন সেনাবাহিনীর চিকিৎসক (আরএমও) ক্যাপ্টেন জোনায়েদ আহমেদ তালুকদার ও কবাখালী ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণকেন্দ্রের চিকিৎসা কর্মকর্তা রোজিনা আক্তার জাহান।আগামীকাল শনিবার সারা দেশে বিক্ষোভ সমাবেশের নতুন কর্মসূচি দিয়েছে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮-দলীয় জোট। নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার প্রতিবাদে ৭১ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি শেষে আজ শুক্রবার জোটের পক্ষ থেকে নতুন এ কর্মসূচির ঘোষণা করা হয়। আজ রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এক সংবাদ সম্মেলনে এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, অবরোধ চলাকালে তাঁদের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা, নির্যাতন ও হত্যার প্রতিবাদে এ কর্মসূচি দেওয়া হয়েছে। রাজধানী ঢাকায় ওই দিন বেলা দুইটায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এ বিক্ষোভ সমাবেশ করবেন তাঁরা। এদিকে সারা দেশে অবরোধের মধ্যে নিহত ব্যক্তিদের স্মরণে আজ বাদ জুমা দলের  কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার অবরোধের শেষ দিনে রিজভী সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেছিলেন, ‘সরকার একতরফা নির্বাচনের দিকে এগোচ্ছে। এ ক্ষেত্রে আমাদের আন্দোলন তীব্র থেকে তীব্রতর হবে।’বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে তাঁর বাসভবনে প্রায় দেড় ঘণ্টা বৈঠক করেছেন ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট গিবসন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মুবিন চৌধুরী। এছাড়াও খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা রিয়াজ রহমান ও সাবিহ উদ্দিন আহমদ সেখানে ছিলেন।আজ সোমবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে রবার্ট গিবসন  খালেদা জিয়ার গুলশানের বাসভবনে যান। এর আগে  চেয়ারপারসনের বাড়িতে ঢোকেন শমসের মুবিন চৌধুরী, রিয়াজ রহমান ও সাবিহ উদ্দিন আহমদ। পরে পৌনে সাতটার দিকে ব্রিটিশ হাইকমিশনার খালেদা জিয়ার বাড়ি থেকে চলে যান।ব্রিটিশ হাইকমিশনারের যাওয়ার একটু আগে খালেদা জিয়ার বাড়ির পূর্বদিকে থাকা বালুভর্তি দুটি ট্রাক কিছুটা সরিয়ে গাড়ি যাওয়ার জায়গা করে দেওয়া হয়।গত মঙ্গলবার বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮-দলীয় জোটের ‘গণতন্ত্রের অভিযাত্রা’ কর্মসূচি ঘোষণার পর থেকে খালেদা জিয়ার বাসভবনের সামনে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। একই সঙ্গে গত শনিবার রাত থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী খালেদা জিয়ার বাড়িতে যাওয়ার পথে বালুভর্তি তিনটি ট্রাক ও পূর্ব পাশের গলিতে দুটি ট্রাক আড়াআড়িভাবে রেখে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে। সেখানে জলকামানও রাখা ছিল। আজ সকাল থেকে বাড়িটি ঘিরে রেখেছে প্রচুর পুলিশ। বেলা তিনটার দিকে বাড়ির ফটকের সামনে ৭০ জনের মতো পুলিশ অবস্থান নেয়। পুলিশ, র্যাব ও সাদা পোশাকে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তাদের তত্পরতাও দেখা গেছে।খালেদা জিয়া গতকাল সমাবেশে যোগ দিতে বের হলেও তাঁকে বাড়ির বাইরে যেতে দেয়নি পুলিশ। তাই তিনি আজকেও একই কর্মসূচি অব্যাহত রাখেন। তবে আজ সারাদিনে খালেদা জিয়াকে একবারও বাড়ি থেকে বের হতে দেখা যায়নি। সকালের দিকে বিএনপির চেয়ারপারসের নিরাপত্তা কর্মীরা সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, আজ বেলা তিনটার দিকে খালেদা জিয়া বাড়ি থেকে নয়াপল্টনের উদ্দেশে রওনা হবেন। তবে পরে আর তিনি বের হননি। সকাল থেকে বিএনপির কোনো নেতা-কর্মীকে খালেদা জিয়ার বাড়ি পর্যন্ত যেতে দেখা যায়নি। তবে বেলা ১টা ২০ মিনিটে খালেদা জিয়ার বাসায় যেতে চাইলে বাড়ির সামনে থেকে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, সাংসদ রাশেদা বেগম হীরা ও সাবেক সাংসদ হালিমা নেওয়াজকে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। এরপর বেলা দুটার পর তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।সাংবাদিকদের সরে যেতে পুলিশের অনুরোধখালেদা জিয়ার বাসার সামনে থেকে সাংবাদিকদের সরে যেতে অনুরোধ করেছে পুলিশ। গুলশান জোনের উপকমিশনার লুত্ফুল কবির খালেদার বাসভবনের সামনে রাখা ট্রাকের ওপর থেকেও সংবাদকর্মীদের নেমে যাওয়ার অনুরোধ করেছেন। তিনি বলেন, বিরোধীদলীয় নেতা ও সংবাদকর্মী উভয়ের নিরাপত্তার স্বার্থে সাংবাদিকদের ট্রাকের ওপর থেকে নেমে যাওয়া উচিত। ট্রাকের ওপর দাঁড়িয়ে থাকলে সমস্যা কী, জানতে চাইলে তিনি বলেন, সব সমস্যা সবার সঙ্গে ‘শেয়ার’ করা যায় না।সাংবাদিকেরা পাল্টা অনুরোধ করেছেন, যেন পশ্চিম পাশে রাখা ট্রাকের ওপর থেকে তাঁদের নেমে যেতে অনুরোধ করা না হয়।গত শনিবার পর্যন্ত খালেদা জিয়ার বাসভবনের সামনে মূল ফটকের সামনে সাংবাদিকরা যেতে পারলেও গতকাল থেকে সেখানে তাঁদের দাঁড়াতে দেওয়া হচ্ছে না। এ কারণে গতকাল খালেদা জিয়ার বাসার সামনে রাখা বালুভর্তি ট্রাকের ওপর সাংবাদিকেরা অবস্থান নিয়েছিলেন। তাঁরা ওই ট্রাকের ওপর দিয়ে মই বেয়ে গতকাল সংবাদ সংগ্রহ করতে খালেদা জিয়ার বাসভবনের ভেতর প্রবেশ করেন।
পলাতক চৌধুরী মুঈনুদ্দীন ও আশরাফুজ্জামান খানের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শুরু হয়েছে।বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-এ আজ রোববার মুঈনুদ্দীনের পক্ষে যুক্তি দেন আসামিপক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী সালমা হাই। যুক্তিতে তিনি দাবি করেন, একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধকালে বুদ্ধিজীবীদের অপহরণের পর হত্যা করা হয়েছে এটি সত্য, কিন্তু এ ঘটনায় মুঈনুদ্দীন জড়িত ছিলেন না।সালমা হাই বলেন, মুঈনুদ্দীন একাত্তরে ইসলামী ছাত্র সংঘের (জামায়াতের তত্কালীন ছাত্র সংগঠন) সমর্থক ছিলেন। তিনি পাকিস্তানি অখণ্ডতায় বিশ্বাস করতেন। কিন্তু তিনি ছাত্র সংঘের সদস্য বা উচ্চ পর্যায়ের কোনো নেতা ছিলেন না। একাত্তরে ছাত্র সংঘের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে মুঈনুদ্দীন জড়িত ছিলেন, এমন কোনো নথি রাষ্ট্রপক্ষ ট্রাইব্যুনালে দাখিলও করতে পারেনি।আসামিপক্ষের এই আইনজীবী বলেন, মুঈনুদ্দীন একাত্তরে ‘পূর্বদেশ’ পত্রিকার নিজস্ব প্রতিবেদক ছিলেন। ওই সময় তিনি এ কাজ নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে আনা বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে তাঁর সংশ্লিষ্টতা নেই। সালমা হাই মুঈনুদ্দীনের বিরুদ্ধে আনা সব কটি অভিযোগের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন শেষ করেন। এ সময় তিনি রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষীদের সাক্ষ্যের বিভিন্ন অসংগতি তুলে ধরে মুঈনুদ্দীনকে সব অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার আরজি জানান।আগামীকাল সোমবার এ মামলার অপর আসামি আশরাফুজ্জামান খানের পক্ষে আসামিপক্ষের অপর আইনজীবী আবদুস শুকুর খানের যুক্তি উপস্থাপনের দিন ধার্য আছে।এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ ২৫ সেপ্টেম্বর যুক্তি উপস্থাপন শেষ করে।বাংলা ২য় পত্র (বহুনির্বাচনি)নম্বর: ২০, সময়: ২০ মিনিটমডেল টেস্টটি তৈরি করেছেনমো. হুমায়ুন কবীর১. ‘প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রভাষা বাংলা’, এ কথাটি লেখা আছে-ক. বাংলাদেশের ইতিহাসেখ. বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসেগ. বাংলা ভাষার ইতিহাসেঘ. বাংলাদেশের সংবিধানে২. ব, ভ ধ্বনিগুলোর উচ্চারণ স্থান অনুযায়ী নাম কী?ক. কণ্ঠধ্বনি খ. তালব্য ধ্বনিগ. মূর্ধন্য ধ্বনি ঘ. ওষ্ঠ্য ধ্বনি৩. লিঙ্গ, বচন, পুরুষ—এগুলো ব্যাকরণের কোন অংশে আলোচিত হয়? ক. ধ্বনিতত্ত্ব খ. শব্দতত্ত্বগ. বাক্যতত্ত্ব ঘ. অর্থতত্ত্ব৪. কোনটি মৌলিক স্বরধ্বনি নয়?ক. অ খ. ই গ. ঈ ঘ. ঐ৫. সাধু ও চলিত ভাষার মূূল পার্থক্য কোন পদে বেশি দেখা যায়?ক. বিশেষ্য ও বিশেষণ খ. ক্রিয়া ও সর্বনাম গ. বিশেষ্য ও ক্রিয়াঘ. বিশেষণ ও ক্রিয়া৬. অভিধানে শব্দের পরে‘বিণ’ থাকলে বোঝা যায় শব্দটি?ক. বিশেষ্য খ. বিশেষণগ. বিকৃত ঘ. বিশেষ৭. অভিধান-এর সমার্থক শব্দ কি?         ক. সংবিধান খ. শব্দকোষগ. বই ঘ. সংকলন৮. বিশুদ্ধ বাক্য গঠনের জন্য কয়টি বিষয়ের প্রতি লক্ষ রাখতে হয়?ক. ৫টি খ. ৩টি গ. ৪টি ঘ. ৬টি৯. ভাষার বিচারে বাক্যের কোন তিনটি গুণ থাকা চাই?ক. আকাঙ্ক্ষা, আসত্তি, যোগ্যতাখ. আসত্তি, আকাঙ্ক্ষা, রীতিসিদ্ধতাগ. আসত্তি, যোগ্যতা, অর্থবাচকতাঘ. অর্থবাচকতা, আকাঙ্ক্ষা, রীতিসিদ্ধতা১০. নাম পুরুষের সম্ভ্রমাত্মক রূপের সর্বনাম? ক. তারা খ. তাঁকেগ. আপনি ঘ. মম১১. বস্তুর ধ্বনির অনুকৃতিতে কোন ধ্বন্যাত্মক শব্দটি গঠিত হয়েছে?ক. চোঁ চোঁ খ. মড়মড়গ. কা কা ঘ. গুণগুণ১২. সমাসবদ্ধ পদের অংশগুলো বিচ্ছিন্ন করে দেখার জন্য কোন চিহ্ন বসে?ক. কমা খ. সেমিকোলনগ. হাইফেন ঘ. ড্যাস১৩. কোন শব্দে ণ-ত্ব বিধান প্রযোজ্য নয়? ক. সমাসবদ্ধ শব্দেখ. অব্যয়যুক্ত শব্দেগ. সন্ধিযুক্ত শব্দেঘ. প্রত্যয়যুক্ত শব্দে১৪. প্রযোজক ক্রিয়ার উদাহরণ কোনটি?ক. শিক্ষক ছাত্রদের বাংলা পড়াচ্ছেনখ. মা শিশুকে দুধ খাওয়াচ্ছেনগ. সাপুড়ে সাপ খেলায়ঘ. সবগুলো সঠিক১৫. মৌলিক ধাতু বা নামশব্দের সঙ্গে‘আ’ প্রত্যয়যোগে কোন ধাতু গঠিত হয়?ক. সংযোগমূলক ধাতুখ. বিদেশি ধাতুগ. তৎসম ধাতু ঘ. সাধিত ধাতু১৬. ‘সমার্থক’ শব্দযোগে দ্বিরুক্ত হয়েছে কোনটিতে?ক. ভালোমন্দ খ. তোড়জোড়গ. ধন-দৌলত ঘ. আমির-ফকির১৭. ‘তিতাস একটি নদীর নাম।’ বাক্যে‘নদী’ কোন প্রকার বিশেষ্য?ক. নামবাচক খ. জাতিবাচকগ. বস্তুবাচক ঘ. সমষ্টিবাচক১৮. বৃহদার্থে স্ত্রীবাচক প্রত্যয় যুক্ত হয়েছে কোনটিতে?ক. হিমানী খ. পুস্তিকাগ. অরণ্যানী ঘ. গীতিকা১৯. কোন দ্বিরুক্তিটি অব্যয়বাচক?ক. উড়ু উড়ু খ. কেউ কেউগ. নেই নেই ঘ. মিটির মিটির২০. ‘গঙ্গোর্মি’-র সঠিক সন্ধিবিচ্ছেদ কোনটি?ক. গঙ্গা + উর্মি খ. গঙ্গা + ঊর্মিগ. গঙ্গো + র্মি ঘ. গঙ্গ + ঊর্মি।উত্তর ছাপা হবে আগামীকালজেএসসির বিশেষ মডেল টেস্ট-৩বাংলা ২য়পত্রউত্তর: ১. গ ২. খ ৩. গ ৪. খ  ৫. গ ৬. ঘ ৭. ঘ ৮. ক ৯. ক ১০. গ ১১. ঘ ১২. খ ১৩. ক ১৪. খ ১৫. ক ১৬. গ ১৭. খ ১৮. খ ১৯. খ ২০. গ ২১. ক   ২২. গ ২৩. ক ২৪. গ ২৫. ক ২৬. গ ২৭. ঘ ২৮. ক ২৯. ঘ ৩০. গ ৩১. ঘ ৩২. ক ৩৩. ক ৩৪. গ ৩৫. গ ৩৬. গ ৩৭. ঘ ৩৮. খ ৩৯. ঘ ৪০. ক।(ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনামের এই মন্তব্য প্রতিবেদন আজ ওই পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। সময়ের এবং বিষয়টির গুরুত্ব বিবেচনা করে লেখাটি হুবহু অনুবাদ প্রকাশ করা হলো। লেখার শেষে ইংরেজি প্রতিবেদনের লিংক দেওয়া হলো। এখানে ক্লিক করে মূল প্রতিবেদনও পড়তে পারবেন।)   আজ আমরা এমন এক ছবির কথা লিখছি, যা ছাপতে পারিনি। লিখছি এমন এক ট্রেনের কথা, যে ট্রেনের ৫০০ জন যাত্রী হয় মারা পড়তেন, নয় তো মারাত্মকভাবে আহত হতেন।ছবিটি আমরা ছাপতে পারিনি। এটি ছিল খুব হূদয়বিদারক, অতি জীবন্ত আর বড় বেশি সামঞ্জস্যহীন। এটা ছিল আনোয়ারা বেগমের (৪০) ছবি। সরাসরি তাঁর মাথা লক্ষ্য করে ছোড়া ককটেলের আঘাতে মগজের কিছু অংশ উড়ে যায়। আমাদের প্রতিবেদক জায়মা ইসলাম ওই দৃশ্যের বিবরণ দিতে গিয়ে বলেন, ‘চিকিত্সকেরা যখন আনোয়ারার মাথায় পেঁচানো কাপড় সরালেন, অনুধাবন করলেন তাঁর মাথা থেকে গলগলিয়ে বের হতে থাকা রক্ত বন্ধ করাটাই যথেষ্ট কাজ নয়, তাঁর খুলিটা রক্ষা করা হবে আসল কাজ। অস্ত্রোপচারের টেবিলে আনোয়ারা চাঁদির হাড়ের টুকরো ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ছিল, বের হয়ে ছিল তাঁর মগজের উপরিভাগ। ক্ষত থেকে বের হচ্ছিল গান পাউডারের উগ্র গন্ধ।’আনোয়ারা বেগম সাধারণ মানুষ। একটি ব্যাংকে রান্নাবান্নার কাজ করতেন। সেদিন কাজ শেষে তিনি বাড়ি ফিরছিলেন। পথে বিরোধী দলের মিছিল দেখে এক পাশে সরে দাঁড়ান তিনি। তখনো জানতেন না আর মাত্র কয়েক গজ দূরেই তাঁর মৃত্যু। দেশে যা ঘটছে, এর সঙ্গে যার কোনো সম্পর্কই নেই, রাস্তার পাশে দাঁড়ানো এমন একজনকে লক্ষ্য করে ককটেল ছোড়া হলো কেন, তা বোধগম্য নয়। এখানে শুধু একটা জিনিসই বোঝা যায়, একজন মানুষকে হত্যার লক্ষ্য হচ্ছে আতঙ্ক সৃষ্টি।সাবেদ আলী নামের একজন সিএনজি অটোরিকশা চালকের গাড়ি লক্ষ্য করে পেট্রোল বোমা ছোড়া হলে তিনি আগুনে দগ্ধ হন। এতে তাঁর মুখমণ্ডল ও শরীরের ১৫ শতাংশ পুড়ে যায়। তার বাম হাতের মাংস হাড় পর্যন্ত পোড়ে।রুবেল নামের আরেক সিএনজি অটোরিকশা চালকের গল্পও একই। ককটেল বিস্ফোরণে তাঁর গাড়িতে আগুন লাগে। তাঁর বেলায় যা ঘটেছে, দুর্বৃত্তরা প্রথমে অটোরিকশা উল্টে দেয়। এতে ভেতরে আটকা পড়েন তিনি। এর পর ককটেল ছোড়া হয়। হামলাকারী যে তাঁকে পুড়িয়ে মারতে চেয়েছিল, এখানে তা পরিষ্কার। একজন সাহসী পথচারীর চেষ্টায় রক্ষা পান তিনি। আওয়ামী লীগ ও বিএনপিএর দুজন কর্মী পরস্পরের দিকে ফুটন্ত পানি ছুড়ে মারেন। এ পানি গায়ে পড়ে সাত বছরের শিশু রাকিবের। শরীরের ১৫ শতাংশ ঝলসে যায় তার।গত মঙ্গল ও বুধবাররের সহিংসতায় ১৬ জন নিহত হয়েছে। এর মধ্যে বুধবারই মারা গেছেন সাতজন। গত জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত রাজনৈতিক সহিংসতার শিকার হয়ে মারা গেছেন ২৯০ জন। একই সময়ে দুই শিশু নিহত হয় এবং ১৪ বছরের মনিরসহ ১৯ জন গুরুতর আহত বা দ্বগ্ধ হয়েছে। বাবার সঙ্গে ঘুরতে বের হয়েছিল মনির। ৪ নভেম্বর রাস্তার পাশে রাখা বাবার ভ্যানগাড়িতে ঘুমিয়ে ছিল মনির।  এ সময় ওই গাড়িতে লাগানো আগুনে দগ্ধ হয় সে।চট্টগ্রামগামী মেঘনা এক্সপ্রেস ট্রেনে ৫০০ জন যাত্রী ছিল। চাঁদপুর ও লাকসামে রেললাইন উপড়ে ফেলা হয়েছিল। দুই কৃষক সময় মতো সতর্ক করে দেওয়ায় ট্রেনটি বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পায়। শেষ রাতে ওই রেলপথের ৬০ ফুট উপড়ে ফেলা হয়েছিল। এতে ভোর পাঁচটার দিকে রওনা হয়ে যাওয়া ট্রেনটি বড় ধরনের দুর্ঘটনার শিকার হতো।  আকাশে ওড়ার সময় পেতে রাখা বোমার বিস্ফোরণে একটি বিমানের যে ক্ষতি হয়, রেললাইন উপড়ে ফেলার ভয়াবহতাও একই রকম। এটা কীভাবে আমাদের নিয়তি হতে পারে? দলীয় রাজনীতির সঙ্গে যেসব সাধারণ মানুষ জড়িত নয়, রাজনৈতিক উদ্দেশে ইচ্ছাকৃতভাবে তাদের হত্যার পরিকল্পনা কীভাবে করতে পারে দেশের নাগরিকদের একটি অংশ?যে রাজনীতির লক্ষ্য মানুষ হত্যা করা, তা কখনো জনগণের রাজনীতি হতে পারে না। আজকাল ভেবেচিন্তেই মানুষ হত্যা করা হচ্ছে। যেন রাজনৈতিক কর্মকান্ডের নামে কিছু খুনিকে রাস্তায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে, যাদের মূল লক্ষ্য হত্যা করা, যানবাহন ও দোকানে আগুন দেওয়া। অন্য কথায় বলতে গেলে, তাদের কাজ হলো সর্বোচ্চ ভীতি ও আতঙ্ক ছড়ানো।তা নাহলে যাত্রী সেজে হিউম্যান-হলারে আগুন দেওয়ার ঘটনার ব্যাখ্যা কী দেব? তারা চালকের পালানোর পথ বন্ধ করার চেষ্টা চালায়, যাতে তিনি পুড়ে মরেন। এ ধরনের সাধারণ যাত্রী সেজে গণপরিবহনে ওঠে। এক পর্যায়ে তারা উঠে পড়ে। গান পাউডার ছিটিয়ে চলন্ত বাস থেকে লাফিয়ে নামার শেষ মুহূর্তে জ্বলন্ত দেশলাই কাটি ছুড়ে মারে।এটি কীভাবে অবাধ নির্বাচনের দাবিতে চলমান আন্দোলনের অংশ হতে পারে?বাংলাদেশে আজ বিরোধীদলের কর্মীরা দেদার মানুষ মারছেন। এখানে একজন পথচারী মারা পড়েন তো সেখানে মারা যাচ্ছে একজন স্কুলছাত্র, আরেক জায়গায় হত্যা করা হচ্ছে কোনো সিএনজি অটোরিকশা চালককে। এসব হত্যার ঘটনা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং পূর্বপরিকল্পিত হত্যার হিসেবে অবশ্যই নিন্দনীয়। এ বছরের শুরুতে রাজনৈতিক আন্দোলন সহিংসতায় রূপ নেওয়ার পর থেকে যাদের উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে হত্যা করা হয়েছে, তাদের রক্ত স্পষ্টতই খালেদা জিয়ার হাতে লেগে আছে। আমরা বিশেষত এ ব্যাপারে তাঁর দোষ ধরতে পারি যে নিরীহ পথচারীদের মৃত্যুতে তিনি কখনো নিন্দা জ্ঞাপন করেননি, বিশেষ করে শিশুদের মৃত্যুর ঘটনায়, যারা কোনোভাবেই রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নয়।  এতগুলো মৃত্যুর ঘটনায় তিনি কখনো সামান্য সহানুভূতি বা সমবেদনা জানাননি।যাই হোক, আমাদের প্রধানমন্ত্রী কি বলতে পারবেন এসব ঘটনার জন্য তাঁর কোনো দায়দায়িত্ব নেই? তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মতো একটি মীমাংসিত প্রশ্ন নতুন করে তাঁর তুলে ধরাটাই কি বর্তমান রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার মূল কারণ নয়? তিনি কি সর্বান্তকরণে বলতে পারবেন, বিরোধী দলকে আলোচনায় আনতে সর্বাত্মক পদক্ষেপ নিয়েছেন? একটি সমাধানের লক্ষ্যে সরকার ও শাসক দলের পক্ষ থেকে যে যথেষ্ট নমনীয়তা দেখানো হয়েছে, খতিয়ে দেখতে গেলে এই দাবি কি টিকবে? প্রধানমন্ত্রীর ব্যাপক সাফল্যের সব দাবি যদি আমরা মেনেও নিই, তিনি যে বিরোধী দলের সঙ্গে রাজনৈতিক সমঝোতায় (অনেকে বলেন এ মনোবৃত্তি তাঁর কখনো ছিল না) পৌঁছাতে এবং স্বাধীনতার উত্সব বলে পরিচিত নির্বাচনমুখী শান্তির পথ এনে দিতে পুরোপুরি ব্যর্থ, এর প্রমাণ রয়েছে।আবারও বলছি, এ বছর ৪৮ দিনের হরতালে মারা গেছে ২৯০ জন। এর মধ্যে শুধু অক্টোবর-নভেম্বরেই মারা যান ৩৪ জন। এ ছাড়া দুই শিশু নিহত ও ১৯ জন আহত হয়।কারা এসব মৃত্যুর জন্য দায়ী?আমরা এখানে পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, রাজনৈতিক কারণেই এ সংঘাতের ঘটনা ঘটছে। এটি জনসমর্থন নিয়ে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখলের প্রতিযোগিতা। বিরোধী দল গণআন্দোলনের পথে যাওয়ার বদলে সহিংসতা ও হত্যার পথ বেছে নিয়েছে। শুরু তারা গণআন্দোলন গড়ার চেষ্টা করছে বলে মনে হয়েছে। রাজপথে কোনো গণসমাবেশ নেই, নেতা-কর্মীরা মাঠে নেই, আছে কেবল সন্ত্রাসীরা, যাদের কাজই হলো মানুষের শরীরে ও সম্পত্তিতে আগুন লাগানো।মানুষের হূদয় ও মনকে জয় করার কোনো চেষ্টা চলছে না, চলছে কেবল মানুষকে সন্ত্রস্ত করার চেষ্টা। তারা ৪৮ ঘণ্টার ‘অবরোধ’ কর্মসূচির সময়  যেভাবে বাড়াল, এতে জনগণকে নিয়ে না ভাবার বিষয়টি বরং জোরালো হয়ে ওঠে। ‘অবরোধের’ চরিত্র হরতালের মতো হওয়ার কথা নয়। শিশুদের বিদ্যালয়ে যাওয়ার মতো শহুরে নাগরিকদের বিচরণের কিছু বিষয় এ ধরনের আন্দোলনের আওতামুক্ত থাকার কথা। তবে শহরের ভেতরে চলাফেলা করলেই বেপয়োরা হামলার শিকার হয়েছে মানুষ। যেসব বিদ্যালয় খোলা রাখ চেষ্টা চলেছে, তাদের প্রকাশ্যে হুমকি দেওয়া হয়েছে।এসব ঘটনায় মৃত্যুর জন্য যদি বিরোধীদলকে দায়ী করা হয়, তবে একইভাবে এর দায়ভার সরকার ও ক্ষমতাসীন দলের ওপরও বর্তায়। এ পরিস্থিতির সমাধানে ক্ষমতাসীন দল সত্যিকার অর্থে কখনো কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।  সংলাপের জন্য জনগণের যে দাবি, তা পূরণে বিরোধীদলের সঙ্গে আলোচনায় বসার কোনো সত্যিকার পদক্ষেপ  নিতে দেখা যায়নি। সংলাপের আমন্ত্রণ সত্ত্বেও একের পর এক অবমাননাকর মন্তব্য সমঝোতার সম্ভাবনাকে নস্যাত্ করে দিয়েছে। বিরোধী দলের নেতাদের নির্বিচারে গ্রেপ্তার, জামিন নামঞ্জুর ও রিমান্ডে পাঠানোর মধ্য দিয়ে পরিষ্কার হয়, ক্ষমতাসীন দল সফল কোনো সংলাপ চায় না, বরং পরোক্ষভাবে সহিংসতাকে উসকে দিচ্ছে।সহিংসতা ও মৃত্যুর জন্য আমরা বিরোধী দলকে এককভাবে দায়ী করার পাশাপাশি সহিংসতার পরিবেশ সৃষ্টির জন্য সরকার ও ক্ষমতাসীন দলকেও দায়ী করব। কারণ তারা সমাধানের বদলে আমাদের রাজনীতিকে আরও সংঘাতের পথে ঠেলে দিচ্ছে। এ লেখাটি যখন লিখছিলাম তখন খবর পেলাম, গতকাল সন্ধ্যায় রাজধানীর শিশুপার্কের সামনে একটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এতে চারজন নারীসহ ১৯ যাত্রী দগ্ধ হন। গান পাউডার দিয়েই হোক আর পেট্রোল বোমা মেরেই হোক, হামলাটি যেভাবে চালানো হয়েছে, তা নিঃসন্দেহে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড। অবরোধের চরিত্র কী হবে—এ বিষয়ে বিরোধী দল সচেতনভাবে অস্পষ্টতা জিইয়ে রেখেছে। এটি কখনো হরতালের মতো হবে না।আমরা এ রাজনীতির নিন্দা জানাই এবং এর প্রতি তীব্র ক্ষোভ, ঘৃণা ও চরম বিরক্তি প্রকাশ করছি। আমরা রাজনীতির নামে সহিসংতা ও মৃত্যুর এ উন্মত্ততার অবসান চাই। এই অনৈতিক, কুরুচিপূর্ণ, নৃশংস, স্বার্থান্বেষী ও ধ্বংসাত্মক রাজনীতির প্রতি আমাদের ধৈর্য এখন শেষ সীমায় পৌঁছে গেছে এবং আমরা এর মূলনীতির প্রতি চরম বীতশ্রদ্ধ হয়ে পড়েছি। এটা গণতন্ত্র হতে পারে না।মাহফুজ আনাম, সম্পাদক, ডেইলি স্টারনতুন বছরের প্রথম দিন আগামী বুধবার রাজধানীতে নির্বাচনী জনসভা করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। ওই দিন রাজধানীর কাফরুল, পল্লবী ও উত্তরায় পৃথক তিনটি নির্বাচনী জনসভা হবে।আজ সোমবার আওয়ামী লীগের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে। ওই দিন বেলা দুইটায় কাফরুল আদর্শ উচ্চবিদ্যালয় মাঠ, তিনটায় পল্লবী হারুন মোল্লা ঈদগাহ খেলার মাঠ ও পার্ক এবং বিকেল চারটায় উত্তরার আজমপুর বাসস্ট্যান্ডসংলগ্ন রবীন্দ্র সরণিতে জনসভাগুলো হবে।এদিকে আজ সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে ঢাকা মহানগরের সাংসদ এবং ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের এক যৌথসভা হবে। সন্ধ্যা ছয়টার দিকে আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ সভা হবে।
সিলেটে ধারালো অস্ত্র দেখিয়ে নয়জন ছিনতাইকারী ব্র্যাক ব্যাংকের এক কোটি টাকা ছিনতাই করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ রোববার বেলা পৌনে তিনটার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের আতিরবাড়ির কাছে এ ঘটনা ঘটে।টাকাগুলো ব্যাংকের এক শাখা থেকে অন্য শাখায় স্থানান্তর করা হচ্ছিল বলে ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে। তবে টাকা স্থানান্তরের সময় ব্যাংকের কোনো নিরাপত্তাকর্মী না থাকায় এবং প্রত্যক্ষদর্শী না পাওয়ায় ঘটনাটি ‘রহস্যজনক’ বলছে পুলিশ।ব্যাংক সূত্র জানায়, বিশ্বনাথ শাখার সহকারী ব্যবস্থাপক গহর আলতাব চৌধুরী একটি প্রাইভেট কারে (নম্বর ঢাকা মেট্রো-গ ২৩-৬২২) করে ব্র্যাক ব্যাংকের সিলেট নগরের বন্দরবাজার ও দক্ষিণ সুরমা শাখা থেকে এক কোটি টাকা (ক্যাশ মানি) নিয়ে বিশ্বনাথ শাখায় নিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় গাড়িতে কোনো নিরাপত্তাকর্মী ছিলেন না। বেলা পৌনে তিনটার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের আতিরবাড়ির কাছে তিনটি মোটরসাইকেলযোগে নয়জন ছিনতাইকারী গাড়িটিকে আটকায়। ধারালো দেশীয় অস্ত্রের মুখে ওই গাড়িতে থাকা কর্মকর্তাকে জিম্মি করে ছিনতাইকারীরা টাকার ব্যাগ নিয়ে পালায়। ব্র্যাক ব্যাংকের বিশ্বনাথ শাখা থেকে খবর পেয়ে দক্ষিণ সুরমা থানার একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। তবে তার আগেই ছিনতাইকারীরা পালিয়ে যায়।ব্র্যাক ব্যাংকের বিশ্বনাথ শাখার ব্যবস্থাপক আলী আহসান সিদ্দিক জানান,তাড়া থাকায় কোনো নিরাপত্তাকর্মী ছাড়াই টাকাগুলো বিশ্বনাথে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। তিনি জানান, তিনটি মোটরসাইকেলে নয়জন ছিনতাইকারী গাড়ির গতিরোধ করে। গাড়িচালক সোহেল আহমদকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে টাকা বহনকারী ব্যাংক কর্মকর্তা গহর আলতাব চৌধুরীকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে একপর্যায়ে টাকার ব্যাগ ছিনিয়ে নেয়।সিলেট মহানগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (দক্ষিণ সুরমা থানা) এন এম নাসির উদ্দিন প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, গাড়িচালকের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তিনি বলেন, ‘ঢাকা-সিলেটের মতো একটি ব্যস্ততম মহাসড়কে প্রকাশ্যে এ রকম ছিনতাই কল্পনা করা যায় না। তা ছাড়া ঘটনাস্থলের আশপাশের লোকজনকে জিজ্ঞাসা করে আমরা জানতে পেরেছি ঘটনার সময় তাঁরা কোনো প্রকার চিত্কার শুনতে পাননি।’ প্রাথমিকভাবে ঘটনাটি রহস্যজনক ধারণা করে পুলিশ তদন্ত করছে।মোহাম্মদ আক্তার উজ জামান, প্রভাষকউদ্ভিদবিদ্যা, রূপনগর মডেল স্কুল ও কলেজ, মিরপুর, ঢাকাপ্রিয় শিক্ষার্থীরা, শুভেচ্ছা নিয়ো। তোমাদের জেএসসি পরীক্ষা সামনেই। বাকি সময়ে বেশি বেশি অনুশীলন করলে ভালো ফল করা সম্ভব হবে। সাধারণ বিজ্ঞান বিষয়ে দুই ধরনের প্রশ্ন থাকে—বহুনির্বাচনী ও সৃজনশীল। বহুনির্বাচিত প্রশ্নে ৪০ নম্বর বরাদ্দ থাকে এবং সময় ৪০ মিনিট। আর সৃজনশীল প্রশ্নে ৬০ নম্বর বরাদ্দ থাকে এবং সময় ২ ঘণ্টা ২০ মিনিট। বহুনির্বাচনী প্রশ্নে কাজেই প্রতিটি অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলো আন্ডারলাইন করে বারবার পড়তে হবে। বহুনির্বাচনী প্রশ্নে সঠিক উত্তরের জন্য প্রতিটি অধ্যায়ের সংশ্লিষ্ট বিষয়বস্তুর সংজ্ঞা, বৈশিষ্ট্য, উদাহরণ, বিভিন্ন গাণিতিক সমস্যা ভালোভাবে আত্মস্থ করতে হবে। সৃজনশীল প্রশ্নে তিনটি বিভাগ (জীববিজ্ঞান, পদার্থবিজ্ঞান ও রসায়ন) থাকে। প্রতিটি বিভাগ থেকে দুটি করে মোট ছয়টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়। জীববিজ্ঞান অংশে ভালো নম্বরের জন্য প্রতিটি অধ্যায়ের সংশ্লিষ্ট বিষয়বস্তুর সংজ্ঞা, বৈশিষ্ট্য, বর্ণনা, চিত্র ভালোভাবে আয়ত্ত করতে হবে। পদার্থবিজ্ঞান অংশে ভালো নম্বরের জন্য প্রতিটি অধ্যায়ের সংশ্লিষ্ট বিষয়বস্তুর সংজ্ঞা, বিভিন্ন সূত্র, সূত্রের বিবৃতি, বিভিন্ন যন্ত্রের গঠন ও কার্যপ্রণালি, গাণিতিক সমস্যা ভালোভাবে আয়ত্ত করতে হবে। রসায়ন অংশে প্রতিটি অধ্যায়ের সংশ্লিষ্ট বিষয়বস্তুর সংজ্ঞা, বৈশিষ্ট্য, বিভিন্ন মৌল ও যৌগমূলকের যোজনী, বিভিন্ন যৌগ গঠন, বিভিন্ন পরীক্ষামূলক প্রমাণ গুরুত্ব দিয়ে পড়তে হবে। সৃজনশীল প্রশ্নে একটি উদ্দীপক থেকে চারটি প্রশ্নোত্তর লিখতে হয়। ‘ক’ নম্বর প্রশ্নের উত্তর জ্ঞানমূলক। সঠিক উত্তরটি লিখতে পারলেই পূর্ণ নম্বর পাবে। ‘খ’ নম্বর প্রশ্নের উত্তর অনুধাবনমূলক। সরাসরি প্রশ্নে যা চাওয়া হয়েছে, তা লিখতে পারলেই পূর্ণ নম্বর পাবে। ‘গ’ নম্বর প্রশ্নটি প্রয়োগমূলক। উদ্দীপক বুঝে নিয়ে প্রশ্নে যা চাওয়া হয়েছে, তা উদ্দীপকের আলোকে ব্যাখ্যা করলেই পূর্ণ নম্বর পাবে। গাণিতিক সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে সূত্র লেখা, সূত্রের ব্যাখ্যা ও হিসাব করে সঠিক ফলাফল বের করতে পারলেই পূর্ণ নম্বর পাবে। ‘ঘ’ নম্বর প্রশ্নটি উচ্চতর দক্ষতাভিত্তিক। এ প্রশ্নে সাধারণত বিশ্লেষণ, মূল্যায়ন, আলোচনা, যৌক্তিকতা নিরূপণ ইত্যাদি করতে বলা হয়। অর্থাৎ প্রশ্নে যা চাওয়া হয়েছে, তা যুক্তি দ্বারা বিশ্লেষণের মাধ্যমে সঠিক সিদ্ধান্ত উপস্থাপন করলেই পূর্ণ নম্বর পাবে।রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটকের সামনে শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কে সড়ক দুর্ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী নিহত হয়েছেন। তাঁর নাম সাবরিনা জাহান। তিনি সমাজবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।সাবরিনার বাড়ি বগুড়ার কাহালু উপজেলায়। তাঁর বাবার নাম হামিদুর রহমান।এ ঘটনার পর বেলা একটা থেকে দুইটা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজলা ফটকে শিক্ষার্থীরা গাড়ি ভাঙচুরের চেষ্টা করলে পুলিশ রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় পুলিশের ছোড়া রাবার বুলেটে মঞ্জুর আহমেদ ও ইমরুল কায়েস নামে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের দুই শিক্ষার্থী বিদ্ধ হন। বেলা দুইটার দিকে প্রশাসনের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেন শিক্ষার্থীরা।প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, সকাল ১০টার দিকে সাবরিনা চারুকলা বিভাগের বান্ধবী জীবন নাহার সুমির সঙ্গে রিকশায় করে বিনোদপুর বাজারের দিকে যাচ্ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের কাছে পৌঁছালে রিকশার সামনের একটি অংশ ভেঙে গেলে তাঁরা দুজন রাস্তায় পড়ে যান। এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি অটোরিকশা সাবরিনাকে চাপা দিলে তাঁর মাথার আঘাত লাগে। স্থানীয়রা সাবরিনারকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়। সাবরিনার বান্ধবী সুমি সামান্য আহত হয়েছেন। রিকশা ও অটোরিকশা চালক পালিয়ে গেছে।বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-উপদেষ্টা অধ্যাপক ছাদেকুল আরেফিন প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, সাবরিনার লাশ বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হলে রাখা হয়েছে। তাঁর পরিবারকে খবর দেওয়া হয়েছে। বিকেলে পরিবারের কাছে হস্তান্তরের ব্যবস্থা করা হবে।রাজধানীর রমনা থানায় করা একটি মামলায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজউদ্দিন আহম্মেদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ সোমবার দুপুরে মহানগর হাকিম হারুন অর রশিদ এ আদেশ দেন।বাংলামোটরে বাসে পেট্রলবোমা হামলায় পুলিশ হত্যার ঘটনায় রমনা থানায় করা একটি মামলায় হাফিজউদ্দিনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ড আবেদন জানায় পুলিশ। হাফিজউদ্দিনের পক্ষে জামিনের আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে জামিন আবেদন নাকচ করে দুই দিনের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত।গতকাল রোববার সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে ১৮-দলীয় জোটের পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করেন হাফিজউদ্দিন আহম্মেদ। সংবাদ সম্মেলন শেষে বের হওয়ার পরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে তাঁকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। নির্বাচনের তফসিল বাতিল না হওয়া পর্যন্ত সারা দেশে ১৮ দলের  নেতা-কর্মীরা রাজপথ, নৌপথ ও রেলপথে অবস্থান নেবে বলে ঘোষণা দেওয়ার পরে তাঁকে আটক করা হয়।
ঘটনা এমন যে, একজন চর ছদ্মবেশ নিয়েছেন একজন ব্যবসায়ীর। একজন রাজনীতিবিদের সঙ্গে খোলামেলা আলাপ করছেন তিনি। এরই ফাঁকে আড়ালে চালু করে দিয়েছেন ক্ষুদ্র একটি রেকর্ডিং যন্ত্র, যা সেই রাজনীতিবিদের কথাবার্তা গোপনে রেকর্ড করছে। পরে এ রেকর্ড করার ঘটনাটি প্রকাশ করে দেন তিনি। ঘটনাটি ঘটিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থার একজন কর্মকর্তা।রেকর্ডিং ডিভাইসগুলোর আকার এখন এতটাই ছোট হয়ে গেছে যে, চোখে পড়া দুষ্কর। ‘দ্য নিউইয়র্ক টাইমস’ সম্প্রতি রেকর্ডিং যন্ত্রাংশ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সত্তর ও আশির দশকে গোপন কথাবার্তা রেকর্ড করতে কোমরের সঙ্গে টেপ রেকর্ডার ও তারযুক্ত মাইক্রোফোন বুকের সঙ্গে আঠা দিয়ে আটকে রাখা হতো। বর্তমান সময়ের তারবিহীন প্রযুক্তির সঙ্গে আগের পদ্ধতির ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে।মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার সাবেক কর্মকর্তা জোয়াকিন গার্সিয়া বলেন, আগের দিনে কাউকে সন্দেহ করা হলে পরীক্ষার সময় তার শরীরে তার রয়েছে কি না, তা পরীক্ষা করে দেখা হতো। এখন তারযুক্ত পণ্যের যুগ শেষ। এখন ডিজিটাল যুগ।নিউইয়র্কের রিচার্ড জাবেল নামের এক আইনজীবী জানিয়েছেন, প্রযুক্তির উন্নয়ন হলেও গোপনে রেকর্ড করার পদ্ধতি এখনো একই রকম রয়ে গেছে, বরং তারবিহীন প্রযুক্তির রেকর্ডিং পণ্য শরীরে স্থাপন করা অনেক সহজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যদিও গোপনে রেকর্ডিং বিষয়ে মানুষ এখন অনেক সচেতন, তার পরও অনেক ক্ষেত্রেই রেকর্ডার খুঁজে পাওয়া সহজ নয়। যন্ত্রের আকার ছোট হয়ে যাওয়ায় যেকোনো স্থানে এটি লুকিয়ে রাখা সম্ভব।গবেষকেরা বলছেন, মাত্র দুই দশক আগেও গোপনে রেকর্ডিং করার যন্ত্র শনাক্ত করা এমন কঠিন কিছু ছিল না, কারণ সে সময় এর আকার ছিল বড়সড়। এখন এর আকার এতটাই ক্ষুদ্র হয়ে গেছে যে, তা কোথায় লুকানো থাকছে, সেটি খুঁজে বের করাই রীতিমতো কষ্টসাধ্য বিষয়।বর্তমানে ক্ষুদ্র ক্যামেরা ও রেকর্ডিং যন্ত্রের আকার এতটাই ছোট হয়ে দাঁড়িয়েছে যে, এটি কলম, টাইয়ের ক্লিপ, বোতামসহ যেকোনো জায়গায় লুকিয়ে রাখা যেতে পারে। বিভিন্ন কোম্পানি বিভিন্ন ধরনের গোপন ক্যামেরা তৈরি করছে। আর এ গোপন ক্যামেরাগুলো এমনভাবে তৈরি, যাতে সহজে চোখে না পড়ে। খুদে এ গোপন ক্যামেরায় মোশন অ্যাক্টিভেটেড রেকর্ডিং করা যায়। এসব ক্যামেরা আবার থাকে ফিচারে ভর্তি। এ রকম কয়েকটি ক্যামেরা হচ্ছে শাওয়ার রেডিও স্পাই ক্যাম, টিস্যু বক্স স্পাই ক্যাম, লাইট সুইচ স্পাই ক্যাম, এয়ার পিউরিফায়ার স্পাই ক্যাম, পেন স্পাই ক্যাম, অ্যালার্ম ক্লক হিডেন ক্যামেরা, সিডি প্লেয়ার হিডেন ক্যামেরা, ডিজিটাল ডেস্ক ক্লক, বাইনোকুলার, ফুলদানি এবং শোপিস আকারের ক্যাম, কম্পিউটার স্পিকার, বোতাম ক্যামেরা, মিরর হিডেন ক্যাম, মনিটর, ছোটো ম্যাচ বাক্স, ক্লিপ ক্যামেরা, হ্যান্ডব্যাগ ক্যামেরা ইত্যাদি।গোপন ডিভাইসের ভেতর কী থাকে?প্রযুক্তি বিশ্লেষকেরা জানিয়েছেন, এখনকার তৈরি গোপন ক্যামেরা ও অডিও রেকর্ডারে উন্নত প্রযুক্তি থাকে। অনেকটাই মুঠোফোনের মতো কাজ করে এ ধরনের ডিভাইস। রঙিন ক্যামেরা, থ্রিজি সুবিধার সিম কার্ড, মাইক্রোফোনের মতো সুবিধা থাকায় ডায়াল করা ও কথাবার্তা চালানোর মতো প্রযুক্তি থাকে এতে। অনেক সময় এ ধরনের ডিভাইস তথ্য সংরক্ষণের পাশাপাশি থ্রিজি ব্যবহার করে স্থানান্তর করতে পারে। মাত্র ১০০ মার্কিন ডলার বা তার চেয়েও কম খরচে এ ধরনের ডিভাইস কিনতে পাওয়া যায়।গোপন ডিভাইসে ধরা পড়া কেলেঙ্কারিগোপনে তথ্য সংগ্রহের জন্য গোয়েন্দারা বিভিন্ন যন্ত্রের সাহায্য নেন। তবে সংবাদ সংগ্রহ বা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বের করে আনার জন্য সাংবাদিকদেরও বিভিন্ন যন্ত্রের সাহায্য নেওয়ার প্রয়োজন পড়ে। সাংবাদিকেরা নিজের পরিচয় আড়াল করে ছদ্মবেশে বের করে এনেছেন নানা ঘটনা, ফাঁস করেছেন নানা কেলেঙ্কারি। তেহেলকা ডটকম, ওয়াটারগেট কেলেঙ্কারির কথা অনেকের হয়তো জানা আছে| ২০০১ সালে দলের সভাপতির দায়িত্বে থাকাকালে এক লাখ রুপি ঘুষ নেন ভারতের হিন্দু জাতীয়তাবাদী দল বিজেপির নেতা বঙ্গারু লক্ষ্মণ। সংবাদ পোর্টাল তেহেলকা ডটকমের এক সাংবাদিক অস্ত্র ব্যবসায়ী সেজে সামরিক বাহিনীতে সরবরাহের একটি কাজ পাইয়ে দেওয়ার শর্তে ঘুষ দেন বঙ্গারুকে। লেনদেনের এ দৃশ্য গোপন ক্যামেরায় ধারণ করা হয়। বিষয়টি প্রকাশ পেলে ভারতে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। তেহেলকা কেলেঙ্কারি হিসেবে পরিচিতি পায় বিষয়টি।বিশ্বের অন্যতম কেলেঙ্কারি হিসেবে বিবেচিত করা হয় ওয়াটারগেট কেলেঙ্কারিকে। এ কেলেঙ্কারির সূত্র ধরেই পদত্যাগ করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন। ওই কেলেঙ্কারি ফাঁসের মূল হোতা ছিলেন দুই সাংবাদিক বব উডওয়ার্ড ও কার্ল বার্নস্টেইন। ওয়াটারগেট কমপ্লেক্সে ১৯৭২ সালে ডেমোক্র্যাটদের অফিস ছিল। সেখানেই নির্বাচন নিয়ে তাঁদের আলোচনা ও পরিকল্পনা আগে থেকেই জেনে যাওয়ার জন্য নিক্সন তাঁর কিছু লোককে পাঠিয়ে দেন, যাঁরা আগে থেকেই ডেমোক্র্যাটদের অফিসে রেকর্ডার লুকিয়ে রেখে আসেন। সাম্প্রতিককালে গোপন ক্যামেরায় ধরা যে ঘটনাগুলো আলোড়ন তুলেছে তার মধ্যে রয়েছে ক্রিকেটের স্পট ফিক্সিংয়ের মতো ঘটনা।মাদকাসক্ত ব্যক্তির শারীরিক সুস্থতার পাশাপাশি মানসিক সুস্থতাও প্রয়োজন। সুস্থ হওয়ার পরও দরকার নিয়মিত মাদক নিরাময় কেন্দ্র বা চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা।মাদকাসক্ত ব্যক্তি ও তাদের স্বজনদের প্রশ্নের জবাবে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা এই অভিমত ব্যক্ত করেন। ‘আসুন, মাদকমুক্ত থাকি’ শীর্ষক মাদকবিরোধী এক পরামর্শ সভা গতকাল বুধবার ধানমন্ডির ডব্লিউভিএ মিলনায়তনে আয়োজন করা হয়। প্রথম আলো মাদকবিরোধী আন্দোলন কার্যক্রমের অংশ হিসেবে মাসে একবার এ ধরনের সভা আয়োজন করা হয়। বিশেষজ্ঞরা বলেন, মাদকাসক্ত ব্যক্তির চিকিৎসা সম্পূর্ণ করতে হবে। রোগীর কথায় বিভ্রান্ত হয়ে তাকে নিরাময় কেন্দ্র থেকে নিয়ে আসা যাবে না।সভায় প্রশ্নের উত্তর দেন জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের ডা. মোহিত কামাল ও ডা. ফারজানা রহমান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ডা. সিফাত মাহমুদ, মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্র আপনের পরিচালক ডা. ব্রাদার রোনাল্ড ড্রাহোজাল ও ক্রিয়ার পরিচালক ইফতেখার আহমেদ। আগামী ২৩ নভেম্বর একই স্থানে পরবর্তী পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত হবে।শুটিংয়ের পর সব ধরনের প্রস্তুতি থাকা সত্ত্বেও দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে বাপ্পি-মাহি অভিনীত ‘কী দারুণ দেখতে’ চলচ্চিত্রটির মুক্তি পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রথম আলো ডটকমকে দিনক্ষণ পিছিয়ে দেওয়ার কথা জানিয়েছেন ছবিটির পরিচালক ওয়াজেদ আলী।সারা দেশের ৭০টি প্রেক্ষাগৃহে আজ ২৯ নভেম্বর শুক্রবার বাপ্পি ও মাহি অভিনীত ‘কী দারুণ দেখতে’ সিনেমাটি মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল। তবে ছবিটির মুক্তির নতুন তারিখ এখনো চূড়ান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন ওয়াজেদ আলী। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘তিন দিনের অবরোধ আপাতত শেষ হলেও আগামী রবি-সোমবার কিংবা যেকোনো সময় হরতাল-অবরোধের কর্মসূচি আসতে পারে। দেশের এমন অস্থিরতায় ছবিটি মুক্তি দিলে বড় ধরনের একটা ঝুঁকি নেওয়া হবে। তাই চাহিদা থাকার পরও আমরা ছবির মুক্তি স্থগিত করলাম। এতে অনেক বড় রকমের আর্থিক লোকসানে পড়ে যাব।’কবে নাগাদ ছবিটি মুক্তি পেতে পারে—এ ব্যাপারে ওয়াজেদ আলী বলেন, ‘দেশের পরিস্থিতি একটু স্বাভাবিক হলেই পরবর্তী তারিখ ঘোষণা করা হবে।’‘কী দারুণ দেখতে’ ছবিতে বাপ্পি-মাহি ছাড়া আরও অভিনয় করেছেন সাদেক বাচ্চু, ওমর সানী, শাহরিয়াজ, লাক্স তারকা বিপাশা ও মিশা সওদাগর।উল্লেখ্য, এখন ভোলায় নতুন ছবির শুটিং নিয়ে ব্যস্ত আছেন বাপ্পি ও মাহি। জাকির হোসেন রাজু পরিচালিত ‘ময়নামতি’ নামের এ ছবিতে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করছেন আনিসুর রহমান মিলন। ডিসেম্বরের মাঝামঝি সময়ে ‘ময়নামতি’ ছবিটির শুটিং শেষ হতে পারে বলে জানান মাহি।বিরোধী দল বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বাড়ি থেকে বের হওয়ার পরেই দলের ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরীকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী।আজ সোমবার রাত পৌনে আটটার দিকে তাঁকে আটক করা হয়। তাঁকে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর একটি গাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। এর আগে বিকেল সাড়ে পাঁচটা থেকে সন্ধ্যা পৌনে সাতটা পর্যন্ত খালেদা জিয়ার সঙ্গে তাঁর বাড়িতে রবার্ট গিবসনের বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে শমসের মবিন চৌধুরী ও খালেদা জিয়ার দুই উপদেষ্টা রিয়াজ রহমান ও সাবিহ উদ্দিন আহমদ উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে রবার্ট গিবসন চলে যান। এরপরে খালেদা জিয়ার বাড়ি থেকে বের হন শমসের মবিন চৌধুরী। বৈঠক সম্পর্কে তিনি ব্রিফিং করবেন বলে সাংবাদিকেরা সেখানে অপেক্ষায় ছিলেন। কিন্তু বের হওয়ার পরেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাঁকে আটক করে।গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবে বিরোধী দলের কর্মসূচি ঘোষণার পরেই বিএনপির সহ সভাপতি হাফিজউদ্দিন আহমেদকে আটক করে ডিবি।
গেজেট সংশোধন এবং ছাত্রছাত্রীদের বৃত্তি ও প্রশিক্ষণের ভাতা বাড়ানোর দুই দফা দাবিতে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা আজ রোববারও বিক্ষোভ করেছেন। এ সময় কয়েকটি স্থানে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষসহ গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ৪০ জন আহত হয়েছেন। পুলিশ পটুয়াখালী ও রংপুরে ২৯ জনকে আটক করেছে।প্রকৌশলীর সংজ্ঞায় ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের অন্তর্ভুক্ত করে ২০০৮ সালের বিতর্কিত গেজেট সংশোধন এবং ছাত্রছাত্রীদের বৃত্তি ও প্রশিক্ষণ ভাতা বাড়ানোর দাবিতে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা বেশ কিছুদিন ধরে আন্দোলন করছেন। আজ রোববার সকাল ১০টা ও বেলা দুইটা থেকে শেষ বর্ষসহ বিভিন্ন বর্ষের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।ঢাকা: ঢাকার সরকারি-বেসরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা দাবি আদায়ে সকাল আটটা থেকে বেলা একটা পর্যন্ত রাজধানীর মিরপুর-১০, মহাখালী, শ্যামলী ও তেজগাঁও এলাকায় বিক্ষোভ করেন। বাংলাদেশ কারিগরি ছাত্র পরিষদের (বাকাছাপ) কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক মো. জাকির হোসেন প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের ‘প্রকৌশলী’ হিসেবে ঘোষণা দেওয়া ও অন্যান্য পেশার সঙ্গে বেতনবৈষম্য দূর করার দাবিতে তাঁরা আন্দোলন করছেন। তিনি জানান, ডিপ্লোমা নার্স ও ডিপ্লোমা টেক্সটাইল প্রকৌশলীরা শিক্ষানবিশ হিসেবে কাজ করার সময় মাসে ১১ হাজার টাকা ভাতা পান, কিন্তু তাঁরা পান ৫০০ টাকা। এ বৈষম্য দূর করার ব্যাপারে সরকারকে সুস্পষ্ট সিদ্ধান্ত দিতে হবে। এদিকে এসব ঘটনায় সকাল থেকে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটগুলো ঘিরে বাড়তি নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তেজগাঁও পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের মূল ফটকে সকালেই ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা তালা ঝুলিয়ে দেন। ইনস্টিটিউট ও ছাত্রাবাসগুলো পুলিশ ঘিরে রেখেছে।কুমিল্লা: কোটবাড়ি সড়ক এলাকায় পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা সকাল নয়টা থেকে কাঠের গুঁড়ি ও বালুভর্তি বস্তা ফেলে কুমিল্লা-কোটবাড়ি সড়ক অবরোধ করে রাখেন। ওই সময় পুলিশ বাধা দিলে উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ রাবার বুলেট ছোড়ে। এ সময় পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের দফায় দফায় সংঘর্ষে কোটবাড়ি এলাকা রণক্ষেত্রে পরণত হয়। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা সদর দক্ষিণ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফাতেমা জাহানের গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন। তাঁরা বিজয়পুর ইউনিয়ন পরিষদের ভূমি অফিসে হামলা চালিয়ে কাগজপত্র তছনছ করে তাতে  আগুন দেন। সংঘর্ষে ১০ জন পুলিশসহ ২০ জন আহত হন।বেলা দেড়টার দিকে ইউএনও ফাতেমা জাহান প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, পুলিশের সংখ্যা কম থাকায় ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি। পরে র্যাব ও অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।চট্টগ্রাম: নগরের দু নম্বর চার রাস্তার মোড়ে আজ বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২-৪০ মিনিট পর্যন্ত সড়ক অবরোধ করে ২০-২৫টি গাড়ি ভাঙচুর করেন সরকারি-বেসরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। এর মধ্যে সিটি করপোরেশনের একটি আবর্জনাবাহী যান, ট্রাক, লরি রয়েছে। এ সময়ে আগে থেকে অবস্থানকারী পুলিশ তাঁদেরকে বারবার রাস্তা থেকে সরে যাওয়ার অনুরোধ জানায়। এক পর্যায়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছোড়ার পরে তাঁরা শিক্ষার্থীদের অক্সিজেনমুখী সড়কের দিকে  ধাওয়া করলে সড়ক অবরোধমুক্ত হয়।এ দেড় ঘন্টায় দু নম্বর এলাকার চারপাশে যানবাহনের তীব্র জট বেধে যায়। অবরোধ আটকা পড়ে রোগীবাহী দুই তিনটি অ্যাম্বুলেন্স।পটুয়াখালী: পরীক্ষা বর্জন করে প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ শুরু করলে সকাল থেকে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংর্ঘষ চলে। এ সময় বিক্ষোভকারীরা বেশ কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটান এবং পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়েন। পরে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা পুলিশের একটি মোটরসাইকেল আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেন এবং ক্যাম্পাসের বাইরে বেশকিছু অটোরিকশা ভাঙচুর করেন। সংঘর্ষের ঘটনায় সাংবাদিক, পুলিশসহ অর্ধশত লোক আহত হন। এখন পর্যন্ত পুলিশ ক্যাম্পাসসহ বিভিন্ন ছাত্রাবাসে তল্লাশি চালিয়ে ১২ জনকে আটক করেছে।পটুয়াখালী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ হাসান মো. কামরুজ্জামান মুঠোফোনে জানান,  আজকের সকালের পরীক্ষায় শিক্ষার্থীরা অংশ নেননি। এখন ক্যাম্পাস কিছুটা শান্ত। ক্যাম্পাসে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। নোয়াখালী: বেলা ১১টার দিকে নোয়াখালী আইডিয়াল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের দুই শতাধিক শিক্ষার্থী শহরের গ্যারেজ এলাকা থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করেন। পরে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা একটি ট্রাক, একটি বাসসহ পাঁচটি গাড়ি ভাঙচুর করেন। এ সময় বিক্ষোভকারীরা ইনস্টিটিউটের সামনে প্রায় আধা ঘণ্টা মাইজদী-সোনাপুর সড়ক অবরোধ করে রাখেন। এতে ওই সড়ক দিয়ে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। খবর পেয়ে সুধারাম থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলার পর দুপুর ১২টার দিকে তাঁরা অবরোধ তুলে নেন।ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।রাজশাহী: সকাল আটটা থেকে মহিলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ছাত্রীরা পরীক্ষা বর্জন করে ইনস্টিটিউটের বাইরের গেটে তালা দিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে গেটের তালা ভেঙে ভেতরে ঢুকে ছাত্রীদের লাঠিপেটা করে।  এতে অন্তত ২০ জন ছাত্রী আহত হন।নগরের শাহ মখদুম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান বলেন, ছাত্রীরা শিক্ষকদের অবরুদ্ধ করে রেখেছিলেন। হলে পরীক্ষার্থীদের ঢুকতে দিচ্ছিলেন না। এ কারণে তালা ভেঙে ভেতরে ঢোকা হয়েছে। এতে ভয়ে ছাত্রীরা পালিয়ে যান। তাঁদের লাঠিপেটা করা হয়নি।কুড়িগ্রাম: পরীক্ষা বর্জন করে শিক্ষার্থীরা সকাল ১০টায় ইনস্টিটিউট থেকে মিছিল নিয়ে কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে সমবেত হন। সেখানে আধা ঘণ্টা মানবন্ধন কর্মসূচি শেষে সমাবেশ করেন বাংলাদেশ কারিগরি ছাত্র পরিষদের (বাকাছাপ) কুড়িগ্রাম জেলা শাখা। সেখানে বক্তারা জানান, তাঁরা ডিপ্লোমা পাস করে সুপারভাইজার হতে চান না, প্রকৌশলী হতে চান। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে দাবি না মানলে সারা দেশে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তাঁরা।এ প্রসঙ্গে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ আবদুল কুদ্দুস সরদার প্রথম আলো ডটকমকে জানান, বার্ষিক পরীক্ষা শুরু হয়েছে। সকালে বিভিন্ন বিভাগে ৫৮১ জন শিক্ষার্থীর পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল। তাঁদের মধ্যে ১৩৬ জন পরীক্ষা দিয়েছেন। বগুড়া: পূর্বনির্ধারিত রুটিন অনুযায়ী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে সকাল ১০টায় কর্তব্যরত ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশের উপস্থিতিতে অধিকাংশ শিক্ষার্থী পরীক্ষার হলে উপস্থিত হলে খাতা ও প্রশ্নপত্র বিতরণ শুরু হয়। এ সময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা হলের বাইরে থেকে ব্যাপক ইটপাটকেল ছুড়তে থাকেন। একপর্যায়ে পরীক্ষার্থীরাও তাঁদের সঙ্গে যোগ দিয়ে ভাঙচুর শুরু করলে পরীক্ষা পণ্ড হয়ে যায়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংর্ঘষ বাধে। শিক্ষার্থীরা ইনস্টিটিউটের সামনে সাতমাথা-শেরপুর সড়ক অবরোধ করে বেশকিছু গাড়ি ভাঙচুর করেন। এ সময় চার ছাত্রকে আটক করা হয়। বেলা একটার দিকে টিএমএসএস পলিটেকনিকের শিক্ষার্থীরা রংপুর-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করলে পুলিশ গিয়ে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।রংপুর: পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা দাবি আদায়ে শহরের পায়রা চত্বরে সমবেত হয়ে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। এ সময় তাঁরা শহরের যমুনা ব্যাংক, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক ও ভরসা টাওয়ারে ইটপাটকেল ছুড়ে কাচ ভাঙচুর করেন। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিপেটা করে। এতে ১০ জন শিক্ষার্থী আহত হন। এ ঘটনায় পুলিশ ১৭ জনকে আটক করেছে। শহরে ১২টি মাইক্রোবাস-অটোরিকশা ও তিনটি ভবনের জানালার কাচ ভাঙচুর করেছেন শিক্ষার্থীরা।‘ওই কালো ছুড়িডা হামাক পাগলা করিচে, ওই কালো ছুড়িডা হামাক দেওয়ানা করিচে, তার কালো চোখের তিরডা হামার কলজাত ঠেকিচে।’—কালো মেয়ের দুঃখ ভোলানো এই গান আশির দশকে ছিল তুমুল জনপ্রিয়। ‘বগুড়া ইয়্যুথ কয়্যার’-এর সেই গানটি এখনো মানুষের মুখে মুখে ফেরে। জনপ্রিয় এ গানের স্রষ্টা তৌফিকুল আলম। তবে বগুড়ার সাংস্কৃতিক অঙ্গনে ছোট-বড় সবার কাছে তিনি কেবল ‘টিপু ভাই’।আঞ্চলিক ভাষায় গান করে গানকে ভিন্নমাত্রার কোরিওগ্রাফি দিয়ে বগুড়া ইয়্যুথ কয়্যারের প্রতিষ্ঠাতা এই ‘টিপু ভাই’ একসময় অনেক গানকে জনপ্রিয় করে তুলেছিলেন। জীবনের পরিণত পর্যায়ে পৌঁছে তাঁর কথায় আজও যেন পাওয়া যায় তারুণ্যের আভা, ‘ষাটের দশকে ছাত্র ইউনিয়ন করতাম। মুক্তিযুদ্ধের পর উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর হয়ে দল বেঁধে গ্রামে গ্রামে গাইলাম গণসংগীত। সেই সময় জাগরণের গান করত কলকাতা ইয়্যুথ কয়্যার। তাদের গানে অনুপ্রাণিত হয়ে একসময় আঞ্চলিক গানের মাধ্যমে গ্রামের যুবসমাজকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করার চিন্তা এল মাথায়। এরপর তো ১৯৭৬ সালে গড়ে তুললাম বগুড়া ইয়্যুথ কয়্যার।’বগুড়া ইয়্যুথ কয়্যারের জন্মকথা শোনা হলো। কিন্তু কীভাবে সে সময় লেখা হলো দেশপ্রেম জাগানিয়া জনপ্রিয় আঞ্চলিক গানগুলো?‘সত্তরের দশকে বগুড়ার শেরপুরের বিখ্যাত দইয়ের দাম পাঁচ শিকা থেকে এক লাফে পাঁচ টাকায় ওঠে। দাম বৃদ্ধির বিষয়টি নিয়ে গান লিখি “গোবরা খ্যায়া যা শেরপুরের দই, পাঁচ শিকা আচল এখন পাঁচটেকায় লই।” এ গান দিয়েই কিন্তু ইয়্যুথ কয়্যারের শুরু।’ইয়্যুথ কয়্যারের গান দেশজুড়ে ছড়িয়ে দিলেন কীভাবে?—তাঁর সঙ্গে আমাদের কথোপকথন চলতে থাকে।টিপু বলেন, ‘১৯৭৮ সাল। বগুড়া মহিলা ক্লাবে গানের অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে এসেছিলেন সেই সময়কার তথ্যসচিব। আমরা পরিবেশন করলাম “হামরা বগুড়ার ছল, পুঁটি মাছ মারবার য্যায়া মারে আনি বোল”, “ক্যারে বড় বউ তুই ঘুমত থ্যাকে উঠিস না ক্যারে”সহ বেশ কয়েকটি গান। অনুষ্ঠান শেষে তথ্যসচিব মুগ্ধ। আমাকে নিয়ে গেলেন ঢাকায়। বিটিভির তৎকালীন প্রযোজক নওয়াজেশ আলী খানকে ডেকে ইয়্যুথ কয়্যারের গান ধারণ করতে বললেন। কয়েক মাস পর ডাক পড়ল বিটিভি থেকে। কিন্তু গান ধারণ করতে গিয়ে “ওই কালো ছুড়িডা” গানে আপত্তি তুললেন প্রযোজক। ১৯৭৯-তে ইয়্যুথ কয়্যারের আটটি গান বিটিভিতে প্রথম প্রচার হওয়ার পর ব্যাপক জনপ্রিয় হলো। সারা দেশ থেকে অনুষ্ঠানের ডাক পেলাম।’টিপু বলে চলেছেন, ‘ইয়্যুথ কয়্যারের গান তখন মানুষের মুখে মুখে। আশির দশকে বের হলো প্রথম অডিও অ্যালবাম গ্যাঞ্জাম। এ অ্যালবামের গানের মধ্যে “গ্যাঞ্জাম লাগিসে খালি গ্যাঞ্জাম”, “ওই কালো ছুড়িডা হামাক”, “হামি বিশ্বসুন্দরী প্রতিযোগিতাত এডা কেনডিডেট পাঠামু, নাম শুকিমন”, “অস্ত্রডা জমা দিচি টেরলিং ডা না, তুই ক্যামা মিছামিছি ভয় করিস মা”, “ক্যারে বড় বউ তুই ঘুমত থ্যাকে উঠিস না ক্যারে”—এসব গান বেশ জনপ্রিয় হয়েছিল।’‘ওই কালো ছুড়িডা হামাক’ গানটির জনপ্রিয়তা যখন তুঙ্গে, বিটিভিতে তখন প্রচার হলো গানটি। এ গান প্রচারের পর ইয়্যুথ কয়্যারের জনপ্রিয়তা খোলতাই হলো আরও।ইয়্যুথ কয়্যারের প্রতিটি গানে রয়েছে সমাজকে জাগানোর বার্তা। বিভিন্ন টেলিভিশনে সংগঠনটি এ পর্যন্ত প্রায় ৬০টি অনুষ্ঠান করেছে। সাংস্কৃতিক অঙ্গনে ‘কোরিওগ্রাফ অ্যাক্রোবেটিক’ নামে একটি নতুন ধারার সৃষ্টিও করেছে তারা। প্রায় ৫০ জেলায় অনুষ্ঠান করেছে ইয়্যুথ কয়্যারের শিল্পীরা।এই সংগঠনের পুরোধা ব্যক্তি, সবার কাছে আজও যিনি ‘টিপু ভাই’, সেই মানুষটির বয়স এখন ৬৫ বছর। এখন তিনি শুধু গানের কথা ও সুর দেওয়ার কাজেই নিয়োজিত। এখন সংগঠনে কোরিওগ্রাফি নির্দেশনা দিচ্ছেন তাঁর একমাত্র মেয়ে জয়নব তাবাসসুম, সোনালী নামে বগুড়ার সবাই চেনে তাঁকে। তাবাসসুমের নেতৃত্বে বর্তমানে বগুড়া ইয়্যুথ কয়্যারে রয়েছে প্রায় ৫০ জন তরুণ-তরুণী।সম্প্রতি নারী ও শিশুর অধিকার নিয়ে নতুনভাবে আবার মঞ্চে আসছে সংগঠনটি। দ্রুতই বের হবে গানের মিউজিক ভিডিও। এ জন্য বগুড়া শহরের নওয়াববাড়ি সড়কে ইয়্যুথ কয়্যারের কার্যালয়ে নিয়মিত চলছে মহড়া।তবে বগুড়া ইয়্যুথ কয়্যার ও গানের জগৎ থেকে এখন কি অবসর নেওয়ার সময়এসেছে টিপুর? আমাদের কথায় হেসে উঠলেন তিনি। তাঁর ওই হাসিই বলে দিচ্ছে, না, এখনই শেষ নয়—আরও অনেক পথ বাকি।বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মীর মোহাম্মদ নাছিরউদ্দিন ও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম আকবর খন্দকারকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে আগামী রোববার চট্টগ্রাম নগর ও জেলায় সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে বিএনপি। আজ শুক্রবার গায়েবানা জানাজার পর বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।আজ দুপুরে জুমার নামাজের পর চট্টগ্রাম নগরের জমিয়াতুল ফালাহ জামে মসজিদের সামনে এ গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।বিষয়টি নিশ্চিত করে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটির সদস্য মাহবুবুর রহমান প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, ‘আমাদের কেন্দ্রীয় দুই নেতাকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে হরতালের এ কর্মসূচি দেওয়া হয়েছে।’নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, সরকার গঠনের মাত্র ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দিল্লির আম আদমি পার্টির সরকার আজ সোমবার প্রতিটি বাড়িতে বিনা মূল্যে পানি সরবরাহের ব্যবস্থা করেছে। ভারতের রাজধানী দিল্লির অধিকাংশ এলাকায় পানির জন্য হাহাকার এক নিত্য ঘটনা। এ নিয়ে পূর্ববর্তী সরকারগুলো বারবার প্রতিশ্রুতি দিলেও কার্যকর উদ্যোগ দেখা যায়নি।‘টাইমস অব ইন্ডিয়া’র খবরে বলা হয়, যেসব বাসায় পানির সংযোগ আছে, সেগুলোতে প্রতি মাসে বিনা মূল্যে ২০ কিলোলিটার পানি সরবরাহ করা হবে। ২০১৪ সালের প্রথম দিন থেকে অর্থাত্ ১ জানুয়ারি থেকে এ ব্যবস্থা কার্যকর হবে।দিল্লি জল বোর্ডের সঙ্গে এক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল এ সিদ্ধান্ত নেন। সভায় আরও সিদ্ধান্ত হয়, আসছে তিন মাস পানি সরবরাহের খবর দেবে দিল্লি জল বোর্ড। অবশ্য সরকার জানিয়েছে, যেসব গ্রাহক দিনে ৭০০ লিটারের বেশি পানি ব্যবহার করবেন, তাঁদের পুরো মূল্যই দিতে হবে।কেজরিওয়াল অসুস্থ থাকায় আজ তাঁর বাসাতেই দাপ্তরিক বৈঠক ও কাজকর্ম সম্পন্ন হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৬৮তম অধিবেশনে যোগদান শেষে আগামীকাল সোমবার দেশে ফিরবেন। বিকেল পাঁচটা ৪৫ মিনিটে তিনি শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাবেন।দারিদ্র্য দূরীকরণে অনন্যসাধারণ অবদানের জন্য শেখ হাসিনা সম্মানজনক সাউথ সাউথ পুরস্কার লাভ করায় বিমানবন্দরে তাঁকে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে নাগরিক গণসংবর্ধনা দেওয়া হবে। দেশের বিশিষ্ট নাগরিকেরা বিমানবন্দরের ভিভিআইপি লাউঞ্জে উপস্থিত থেকে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাবেন। প্রধানমন্ত্রী বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলবেন।প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানানোর জন্য বিমানবন্দর এলাকায় বিপুলসংখ্যক মানুষের সমাগম করা হবে। এরপর ক্যান্টনমেন্টের জাহাঙ্গীর গেইট থেকে গণভবন পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে জনতা প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানাবেন। ওই গণসংবর্ধনায় যোগদানের জন্য ঢাকা মহানগরের সর্বস্তরের জনসাধারণ ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের প্রতি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক স্থানীয় সরকার, পল্লি উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম অনুরোধ জানিয়েছেন।প্রধানমন্ত্রীর গণসংবর্ধনার জন্য আওয়ামী লীগ ও ১৪ দল ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে। আজ ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ বর্ধিত সভা করেছে। ১৪ দলও বৈঠক করেছে।রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ইউনিয়নের বাঘাইহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয় নেওয়া ১৩ পরিবারকে সরিয়ে নেওয়া না হলে ব্যাহত হবে সমাপনী পরীক্ষা। এমন আশঙ্কা থেকে বিদ্যালয়টির শিক্ষক ও অভিভাবকেরা দ্রুত পরিবারগুলোকে সরিয়ে নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।উপজেলা শিক্ষা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১০ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় আদিবাসী-বাঙালিদের মধ্যে সংঘর্ষের পর বাঘাইহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩০টি বাঙালি পরিবার আশ্রয় নেয়। বিভিন্ন সময় ১৭টি পরিবার চলে গেলেও ১৩টি পরিবার এখনো রয়ে গেছে। এই সমস্যার কারণে বিদ্যালয়ের মাত্র একটি কক্ষে এখন শিক্ষার্থীদের পাঠদান করা হয়। শ্রেণীকক্ষ না থাকায় বিদ্যালয় ভবনের বারান্দায়ও চলে পাঠদান।বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, আগামী ২০ নভেম্বর থেকে পঞ্চম শ্রেণীর সমাপনী পরীক্ষা শুরু হবে। এর আগের বছর পঞ্চম শ্রেণীর সমাপনী পরীক্ষা বাঘাইহাট উচ্চবিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হতো। সম্প্রতি জেলা প্রশাসকের এক বৈঠকে সমাপনী পরীক্ষা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বাঘাইহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে পরীক্ষার কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয়। এই কেন্দ্রে মোট ২৬টি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দেবে। পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৩০৩ বলে জানা গেছে।বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. নাজিম উদ্দিন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যালয়ের কক্ষে বসবাসরত লোকজনকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু এখনো সরানো হয়নি।প্রধান শিক্ষক মো. আবু তাহের প্রথম আলোকে বলেন, ‘এ বছর থেকে আমার বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণীর সমাপনী পরীক্ষার কেন্দ্র চালু করা হয়েছে। বিদ্যালয় ভবন থেকে আশ্রিতদের সরিয়ে না নিলে পরীক্ষা অনুষ্ঠান কঠিন হবে।’উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, বিদ্যালয়ে বসবারত পরিবারগুলো সরিয়ে নেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসকের বৈঠকে বলা হয়েছে। উপজেলা প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা চালু হওয়ার পর পাশের উচ্চবিদ্যালয়ে পরীক্ষা নেওয়া হতো। এ বছর থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পরীক্ষা নেওয়া হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুমন চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, বিদ্যালয়ে আশ্রয় নেওয়া পরিবারগুলো সরিয়ে নেওয়ার অনুমতি রয়েছে। সমাপনী পরীক্ষা সফল করতে বিদ্যালয়ে শৌচাগারও নির্মাণ করা হবে। এর মধ্যে দখলে থাকা ভবনটি খালি করা হবে।চলচ্চিত্রে শুটিংয়ের প্রয়োজনে দেশ ছেড়ে প্রবাসে নিরব ও প্রিয়া। বর্তমানে দক্ষিণ আফ্রিকায় ‘প্রবাসী প্রেম’ ছবিটির শুটিং নিয়ে ব্যস্ত আছেন তাঁরা। পর্যায়ক্রমে দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গ, ডারবান, পোর্ট এলিজাবেথ ও কেপটাউনে ছবিটির শুটিং হবে, চলবে ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত। আহমেদ আলী মণ্ডল পরিচালিত ‘প্রবাসী প্রেম’ ছবিটি পুরোপুরি প্রেমের গল্পনির্ভর একটি চলচ্চিত্র।প্রথম আলো ডটকমকে পিয়া বলেন, ‘অনেক আগেই ‘‘প্রবাসী প্রেম’’ ছবির শুটিং করার কথা ছিল। কিন্তু নানা জটিলতার কারণে বেশ কয়েক মাস বিলম্ব হয়েছে। তবে দক্ষিণ আফ্রিকায় আসার পর থেকে খুব ভালোভাবেই শুটিং করছি। শুটিংয়ের ফাঁকে ঘোরাফেরাও করছি। এরই মধ্যে একদিন মাঠে বসে সাউথ আফ্রিকা ও পাকিস্তানের মধ্যকার ক্রিকেট ম্যাচ উপভোগ করেছি। সবকিছু মিলিয়ে দারুণ সময় কাটছে। আশা করছি, ছবিটিও ভালো হবে।’পিয়া অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র রেদওয়ান রনির ‘চোরাবালি’। এ ছবির জন্য মেরিল-প্রথম আলো সমালোচক পুরস্কারের মনোনয়নও পেয়েছিলেন পিয়া। উল্লেখ্য, ‘প্রবাসী প্রেম’ ছবির শুটিংয়ে অংশ নেওয়ার জন্য চলতি মাসের ১৩ নভেম্বর বুধবার সন্ধ্যায় সৌদি এয়ারলাইনসের একটি বিমানে চড়ে ঢাকা ছাড়েন নিরব, পিয়া, আমানসহ কয়েক সদস্যের একটি দল।ক্যারিয়ারের শেষ টেস্টটা সেঞ্চুরি দিয়ে উপলক্ষটা আগেই স্মরণীয় করে রেখেছিলেন জ্যাক ক্যালিস। এবার বিদায়ী টেস্টটা আরও বর্ণিল করে তোলার উপলক্ষও পেয়ে গেলেন সর্বকালের অন্যতম সেরা এই অলরাউন্ডার। জয় দিয়েই ইতি টানলেন ১৮ বছরের দীর্ঘ টেস্ট ক্যারিয়ারটার।১০ উইকেটের বড় জয় দিয়েই টেস্ট সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল দক্ষিণ আফ্রিকা। মাত্র ৫৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে কোনো উইকেট না হারিয়েই জয়ের বন্দরে পৌঁছে গেছেন দুই প্রোটিয়া ওপেনার গ্রায়েম স্মিথ ও আলভিরো পিটারসেন। স্মিথ ২৭ ও পিটারসেন ৩১ রান করে অপরাজিত ছিলেন।দ্বিতীয় ইনিংসে আর ব্যাট করা হয়নি। তবে প্রথম ইনিংসে টেস্ট ক্যারিয়ারের ৪৫তম সেঞ্চুরিটি করে ক্যালিসই গড়ে দিয়েছিলেন জয়ের ভিত্তি। দক্ষিণ আফ্রিকা পেয়েছিল ১৬৬ রানের লিড। দ্বিতীয় ইনিংসে ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ ছিল ভারতের। কিন্তু রবিন পিটারসন, ভারনন ফিল্যান্ডার আর ডেল স্টেইনের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ২২৩ রানেই গুটিয়ে গেছে ভারতের দ্বিতীয় ইনিংস। অজিঙ্কা রাহানে একাই লড়াই করেছেন। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হওয়ার আগে করেছেন ৯৬। ভারতের ইনিংসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩২ রান এসেছে পূজারার ব্যাট থেকে। এখান থেকেই বোঝা যায় বাকিদের দুর্দশা।প্রথম ইনিংসে ছয় উইকেট নিয়ে ভারতকে বেশ ভালোই ভুগিয়েছিলেন স্টেইন। আজ ডারবান টেস্টের পঞ্চম দিনের শুরুতেও ভারতকে বড় ধাক্কা দিয়েছিলেন এসময়ের অন্যতম সেরা পেসার। শুরুতেই টানা দুই ওভারে তুলে নিয়েছিলেন ভারতের দুই নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান বিরাট কোহলি ও চেতেশ্বর পুজারার উইকেট। এরপর ভারতের প্রতিরোধটা এসেছে শুধু রাহানের ব্যাট থেকেই। রোহিত শর্মা যখন ২৫ রান করে ফিল্যান্ডারের শিকার হন, তখন পাঁচ উইকেট হারিয়ে ভারতের সংগ্রহ ছিল ১০৪ রান।ভারতকে এরপর বড় ধাক্কাটা দিয়েছেন পিটারসন। এক ওভারেই তিনি সাজঘরে পাঠিয়েছিলেন অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি ও রবীন্দ্র জাদেজাকে। রাহানের জন্য নিঃসঙ্গ লড়াইয়ের মঞ্চ প্রস্তুত হয়ে যায়। ভারতের দশটি জুটির ছয়টিতেই আছে তাঁর নাম। অষ্টম উইকেটে জহির খানের সঙ্গে ৩৫ রানের জুটি গড়ে প্রতিরোধের চেষ্টাও করেছেন। শেষ দুটো উইকেট জুটিতেও ৩৪ রান যোগ করেছে ভারত। ভারতের প্রথম ৫ ব্যাটসম্যান মিলে করেছেন ১০৪। শেষ ৫ ব্যাটসম্যানই বরং এর চেয়ে বেশি (১১৯) রান এনে দিয়েছেন দলকে।দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে চারটি উইকেট পেয়েছেন পিটারসন। তিনটি করে উইকেট গেছে স্টেইন ও ফিল্যান্ডারের ঝুলিতে। দুই ইনিংস মিলিয়ে নয়টি উইকেট নিয়ে টেস্ট ক্যারিয়ারে ৩৫০ উইকেট পূর্ণ করেছেন স্টেইন। মুত্তিয়া মুরালিধরনের পর তিনিই সবচেয়ে কম টেস্ট খেলে পৌঁছেছেন এই মাইলফলকে। ৩৫০ উইকেট পূর্ণ করতে মুরালিধরন খেলেছিলেন ৬৬টি ম্যাচ। আর ৬৯ ম্যাচ খেলে মাইলফলকটি স্পর্শ করেছেন স্টেইন। নিউজিল্যান্ডের কিংবদন্তি রিচার্ড হ্যাডলিও সমানসংখ্যক ম্যাচ খেলে পেয়েছিলেন ৩৫০ উইকেট।স্টেইনের ৯ উইকেট, ক্যালিসের সেঞ্চুরি—ম্যাচ সেরা কে হবেন বলা কঠিন। তবে ক্যালিসই সেরা হলে স্টেইন নিশ্চয়ই আপত্তি করবেন না। শেষ ম্যাচ, সেঞ্চুরি, সেই সঙ্গে ম্যাচ সেরার পুরস্কার—ইংরেজিতে একেই বলে ‘পারফেক্ট সাইনিং অফ’!
নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব থেকে জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) সরানোর পক্ষে মত দিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। সংস্থাটি মনে করছে ডিসিরা দায়িত্বে থাকলে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না।আজ রোববার রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টারে ‘কার্যকর নির্বাচন কমিশন অগ্রগতি: চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে সংস্থাটি। সেখানেই এসব মতামত তুলে ধরা হয়।টিআইবির ট্রাস্ট্রি বোর্ডের সদস্য হাফিজউদ্দিন খান ডিসিদের পরিবর্তে নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব জনবল থেকে রিটার্নিং কর্মকর্তা করার সুপারিশ করেন।সংবাদ সম্মেলনে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের জন্য নির্বাচন কমিশনের পাশাপাশি সরকারকেও রাজনৈতিক দলের আস্থা অর্জন করতে হবে। সংসদ বহাল রেখে নির্বাচন করলে ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ থাকবে না। নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক হবে।সাতকানিয়া-লোহাগাড়ায় গত পাঁচ বছরে গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নে প্রায় ১০০ কোটি টাকা খরচ করেছে সরকার।সড়কের উন্নয়ন, নতুন সড়ক ও সেতু-কালভার্ট নির্মাণ এবং স্কুল-কলেজ, মসজিদ-মাদ্রাসা ও মন্দিরের ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে এ সময়ে।২৪ অক্টোবর দুপুরে লোহাগাড়া জমিদারপাড়া সড়কের উন্নয়নকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন উপলক্ষে এক সমাবেশে প্রধান অতিথি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আমিনুল ইসলাম এসব কথা বলেন।মোশাররফ হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন খোরশেদ আলম চৌধুরী, সালাহ উদ্দিন, আবু তালেব, আবু ইউসুফ, আবদুল হামিদ, মোরশেদ আলম চৌধুরী, মিয়া মো. শাহজাহান, ইমন চৌধুরী, জহির উদ্দিন, আবদুল হামিদ, রিদুয়ানুল হক, মোরশেদুল হাসান প্রমুখ।শাহবাগে গাড়িতে আগুন দিয়ে ১৯ জন দগ্ধ হওয়ার ঘটনায় স্বাধীন তদন্ত কমিটি গঠনের দাবি জানিয়েছে নাগরিক ঐক্য। একই সঙ্গে দেশের চলমান রাজনৈতিক সহিংসতায় গত সপ্তাহে ২০ জন নিহত হওয়ার দায়দায়িত্ব প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধীদলীয় নেত্রীকে নিতে হবে বলেও মন্তব্য করেছেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না।বাসে আগুন দেওয়া প্রসঙ্গে মান্না বলেন, রাজধানীজুড়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর এত নিরাপত্তা থাকার পরও কীভাবে বাসে আগুন দেওয়া হলো তা অবশ্যই তদন্ত করে দেখতে হবে। এ জন্য সরকারি সংস্থার ওপরে ভরসা না করে কোনো একজন নিরপেক্ষ ব্যক্তিকে প্রধান করে একটি স্বাধীন তদন্ত কমিটি গঠনের দাবি জানান তিনি।আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীর তোপখানা রোডের শিশুকল্যাণ মিলনায়তনে দেশের চলমান সহিংস রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে নিজেদের বক্তব্য উপস্থাপনের জন্য ওই সংবাদ সম্মেলনটি ডাকা হয়। এতে জানানো হয়, আগামীকাল বেলা তিনটায় নাগরিক ঐক্য শহীদ মিনার থেকে শান্তির জন্য সাদা পতাকা মিছিল করবে। গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেনসহ বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা ওই মিছিলে যোগ দেবেন।সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) একই সময়ে শহীদ মিনারে মিছিল ও সমাবেশের কর্মসূচি দিয়েছে। নাগরিক ঐক্য ও সিপিবি-বাসদ যুগপত্ভাবে ওই মিছিল কর্মসূচি পালন করবে।মাহমুদুর রহমান মান্না এর আগে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে বাসে আগুনে পুড়ে দগ্ধদের দেখতে যান। সেখানকার অভিজ্ঞতা তুলে ধরে তিনি বলেন, দেশকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করতে হলে সরকারকে অবশ্যই সমঝোতার পথে হাঁটতে হবে। বিরোধী দলকেও এতে সাড়া দিতে হবে। নয়তো উভয়কেই এর দায় বহন করতে হবে।সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন নাগরিক ঐক্যের উপদেষ্টা ও সাবেক সাংসদ এস এম আকরাম, কমিটির সদস্য আবু বকর সিদ্দিক ও ইফতেখার আহমেদ।সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক সাইফুল ইসলামকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আজ সোমবার বিকেল পাঁচটার দিকে সিরাজগঞ্জ-বঙ্গবন্ধু সেতু সংযোগ সড়কের সদর উপজেলার বারইতারা এলাকা থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।পুলিশের ধারণা ও আওয়ামী লীগের অভিযোগ, বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের সন্ত্রাসীরা ওই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) বাসুদেব সিনহা জানিয়েছেন, বিকেলের দিকে ১৮ দলের নেতারা সাইফুলকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যান। পরে বেইলি ব্রিজের পাশ থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়। তিনি বলেছেন, লাশের গায়ে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে।লাশ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কে এম হোসেন আলী বলেন, ১৮-দলীয় নেতা-কর্মীরাপরিকল্পিতভাবে ওই নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। তিনি অবিলম্বে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের শাস্তি দাবি করেন।শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্পের বিরুদ্ধে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরেছে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি, তাদের জোটসঙ্গী জামায়াত এবং ক্ষমতাসীন মহাজোট সরকারের শরিক জাতীয় পার্টি।আজ রোববার খুলনার জনসভায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র হতে দেবেন না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তাঁর বক্তব্যের পরপরই বিবৃতি দিয়ে এ প্রকল্প বাতিলের দাবি জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ এবং জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান।আজ বিকেলে খুলনায় খালেদা জিয়া বলেন, রামপালে বিদুৎকেন্দ্র করার চেষ্টা চলছে। সেখানে বিদ্যুৎকেন্দ্র হলে সুন্দরবন ধ্বংস হয়ে যাবে। খুলনা অঞ্চলের মানুষ বসবাস করতে পারবে না। সেজন্য রামপালে বিদ্যুৎকেন্দ্র করতে দেওয়া হবে না। তিনি বলেন, রামপালে বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের চেষ্টার প্রতিবাদে তেল-গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি লংমার্চ করেছে। তিনি বলেন, ‘আমরা তেল-গ্যাস কমিটির পাশে আছি। আপনাদের যা দরকার লাগবে আমাদের বলবেন। দেশের স্বার্থে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে প্রস্তুত আছি।’খালেদা জিয়ার বক্তব্যের পরপর গণমাধ্যমে বিবৃতি পাঠায় জাতীয় পার্টি ও জামায়াতে ইসলামী। সন্ধ্যা পৌনে ছয়টার দিকে ই-মেইলে আলাদাভাবে ওই দুটি দলের বিবৃতি আসে।এরশাদের বিবৃতি: রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তা বাতিলের দাবি জানান এরশাদ। বিবৃতিতে এরশাদ উল্লেখ করেন, ‘বাংলাদেশের গর্ব প্রকৃতির বিশাল অবদান সুন্দরবনকে সুরক্ষার কথা চিন্তা না করে বর্তমান সরকার বাগেরহাটের রামপালে ১৩২০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এটা সুন্দরবনকে ধ্বংস করার একটি আত্মঘাতী প্রকল্প। গোটা দেশের মানুষ সরকারের এই অদূরদর্শী সিদ্ধান্তের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে।’এরশাদ বলেন, কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের জন্য বাংলাদেশে অনেক উপযুক্ত জায়গা আছে। কিন্তু সেটা সুন্দরবনের কাছে কেন স্থাপন করতে হবে?দেশের মানুষ যা চায় না, সে ধরনের কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকার জন্য এরশাদ সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।জামায়াতের বিবৃতি: রামপাল তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের জন্য ভারতের সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তি অবিলম্বে বাতিল ঘোষণা করে এ পরিকল্পনা পরিত্যাগ করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান।রফিকুল ইসলাম বলেন, এ বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করে সুন্দরবন ধ্বংস করা হলে বাংলাদেশের অপূরণীয় ক্ষতি হবে। মহাজোট সরকার ভারতের সঙ্গে চুক্তি করে রামপালে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করে মূলত বাংলাদেশকেই ধ্বংস করার চক্রান্ত করছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। এ প্রকল্প বাতিলের জন্য তিনি সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।পা দুটি বাঁকা। সোজা হয়ে দাঁড়ানো বা হাঁটার সামর্থ্য—কোনটাই নেই তাঁর। হামাগুড়ি দিয়েই করতে হয় চলাফেরা। আবার দুটি হাতের একটিতেই নেই চারটি আঙুল। তবুও হাতের তালু, পায়ের গোড়ালি আর দাঁত দিয়েই কাজ করেন মুহাম্মদ রাসেল। বেতের আসবাবের নিপুণ কারিগর তিনি।সম্প্রতি ফটিকছড়ি উপজেলার নাজিরহাটে রাসেলের কর্মক্ষেত্রে গেলে কথা হয় তাঁর সঙ্গে। শারীরিক প্রতিবন্ধকতা জয় করে কীভাবে হয়ে উঠলেন দক্ষ কারিগর, জানালেন সেই কথা।হাটহাজারী উপজেলার ধলই গ্রামের মুহাম্মদ আলমের ছেলে রাসেল সদ্য কৈশোর পেরিয়েছেন। পরিবারের অভাবের কারণে বিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। শরীরিক প্রতিবন্ধকতা থাকা সত্ত্বেও বসে থাকেননি তিনি। এখন পুরোদস্তুর বেতের কারিগর। প্রায় তিন কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে কারখানায় যেতে হয় তাঁকে। কখনো গাড়ি না পেলে পুরো পথটাই হামাগুড়ি দিয়ে পাড়ি দিতে হয়।তিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে রাসেল দ্বিতীয়। শারীরিক অক্ষমতার কারণে এক সময় চার দেয়ালের মধ্যেই গণ্ডিবদ্ধ ছিল তাঁর জীবন। তবে সংসারে অভাব-অনটন তীব্র হয়ে ওঠায় দুই বছর আগে সামান্য বেতনে নাজিরহাটের একটি আসবাবের কারখানায় যোগ দেন তিনি।সারা দিন অক্লান্ত পরিশ্রম করতে হয় রাসেলকে। তবু নিজেকে তেমন ক্লান্ত মনে হয় না। রাসেল জানান, এক দিনে সর্বোচ্চ দুটি দোলনা তৈরি করা যায়। ফাঁকে ফাঁকে অন্য কাজও করেন। সরকারের পক্ষ থেকে মাসে ৩০০ টাকা প্রতিবন্ধী ভাতা পান। সব মিলিয়ে পরিবারকে ভালোই সাহায্য করছেন অদম্য রাসেল।রাসেলের স্বপ্ন, নিজেই একটি কারখানার মালিক হবেন। প্রাতিষ্ঠানিক সহযোগিতা পেলে একটি কারখানা গড়ে তোলা কঠিন নয় বলে মনে করেন তিনি।ফটিকছড়ি উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. আফজাল হোসাইন বলেন, রাসেলের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁকে সহায়তা দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।ফটিকছড়ি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আফতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, সরকার দুঃস্থ ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের কল্যাণে কাজ করছে। রাসেলও যাতে সেসব সুযোগ-সুবিধা পান, এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে ধুন্ধুমার সব মারকুটে দৃশ্য ছাড়া হলিউডের অ্যাকশন ঘরানার ছবি কল্পনাই করা যায় না। দর্শক চাহিদার কারণে নির্মাতারাও এ ধরনের ছবির দৃশ্যে আগ্নেয়াস্ত্রের যথেচ্ছ ব্যবহার করেন। কিন্তু সম্প্রতি এই সংস্কৃতি থেকে বের হয়ে আসার অনুরোধ জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। তিনি মনে করেন, হলিউডের ছবির বিভিন্ন দৃশ্যে আগ্নেয়াস্ত্রের যথেচ্ছ ব্যবহার শিশুদের মনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে।সম্প্রতি লস অ্যাঞ্জেলেসের ড্রিম ওয়ার্কস স্টুডিওতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ওবামা মন্তব্য করেন, হলিউডের ছবির বিভিন্ন দৃশ্যে আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহারের মাধ্যমে বিষয়টিকে মহিমান্বিত করার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু এই চর্চা থেকে নির্মাতাদের বেরিয়ে আসা উচিত। কারণ ছবির গল্পের মধ্য দিয়ে যা ফুটিয়ে তোলা হয় তা শিশুদের মনোজগতে বড় ধরনের প্রভাব ফেলে। ছবিতে সহিংসতা দেখানো হলে তা শিশুদের দৃষ্টিভঙ্গি এবং জীবনধারাতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।ওবামা আরও বলেন, ছবির মাধ্যমে কোনো বার্তা পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে অনেক বেশি সতর্ক থাকতে হবে। জগতের কল্যাণের জন্য দায়বদ্ধতার কথা ভুলে গেলে চলবে না। শিল্পমাধ্যম অনেক বেশি শক্তিশালী। সুন্দর একটি পৃথিবী গড়ে তুলতে এই শক্তিকে কাজে লাগাতে হবে। ভেদাভেদ ভুলে মানুষকে সহনশীল হওয়ার শিক্ষা ছড়িয়ে দিতে হবে।    নিজ বাড়িতে অবরুদ্ধ অবস্থায় খালেদা জিয়া গতকাল রোববার সাংবাদিকদের কাছে সরকারের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ করেছেন, তার পাল্টা জবাব দিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দীপু মনি।তিনি বলেছেন, গতকাল খালেদা জিয়া সরকারকে জড়িয়ে পিলখানা হত্যাকাণ্ড, শাপলা চত্বর অভিযান, সেনাবাহিনী ইত্যাদি বিষয়ে যা বলেছেন তা মিথ্যাচার।আজ সোমবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে দলীয় সভানেত্রীর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে দীপু মনি এ কথা বলেন। সেখানে তিনি বিডিআর হত্যাকাণ্ড, ৫ মে মতিঝিলের সমাবেশ, বিরোধী দলের বিভিন্ন কর্মসূচি ও সারা দেশে সহিংস পরিস্থিতি সম্পর্কে খালেদা জিয়ার বিভিন্ন মন্তব্যের পাল্টা উত্তর দেন।২৫ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় হত্যাকাণ্ডের জন্য বিরোধী দলের নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দায়ী করা প্রসঙ্গে দীপু মনি বলেন, নৃশংস হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে খালেদা জিয়া যে বক্তব্য রেখেছেন তা অসত্য, নিজেদের কাজ অন্যের ওপর চাপানোর নির্লজ্জ প্রয়াস ছাড়া আর কিছুই নয়। তিনি প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে বলেন, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ সরকারি প্রোটোকল ও কোনো রকম নিরাপত্তা ছাড়া তিনি বাসা থেকে বের হয়ে কোন অজ্ঞাত স্থানে গিয়েছিলেন? ঘটনার পর জাতীয় সংসদে সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরী বলেছিলেন, ‘কিছু প্রাণী মারা গেছে। এটা কিসের ইঙ্গিত?’ দীপু মনি আরও বলেন, মহাজোট সরকার এই হত্যাকাণ্ডের বিচার করেছে। খালেদা জিয়া চড়া গলায় কথা বলেন। কিন্তু হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের তাঁর প্রিয়ভাজন আইনজীবীরাই আইনি সহায়তা দিয়েছেন।সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগ নেতা দীপু মনি বলেন, বিরোধী দলের নেতা তাঁর বক্তব্যে আলেম-ওলামাদের ওপর নির্যাতনের কথা বলেছেন। এটি মিথ্যাচার। দীপু মনি বলেন, বারবার বিরোধী দলের কাছে নিহত ব্যক্তিদের তালিকা দিতে বলা হয়েছে। কিন্তু সে তালিকা পাওয়া যায়নি।গোপালগঞ্জ জেলার নাম নিয়ে খালেদা জিয়া যে বিষোদগার করেছেন, তা ভাবতেও সরকারি দল লজ্জাবোধ করছে বলে জানান দীপু মনি।সংবাদ সম্মেলনে দীপু মনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত অশুভ জোট দেশে উন্মত্ততা চালাচ্ছে। বিরোধী জোটের নাশকতা থেকে শিশু, বৃদ্ধ, নারী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, সাংবাদিক কেউ রেহাই পাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন তিনি। বিরোধী দলের কর্মসূচিকে ন্যক্কারজনক চিহ্নিত করে তিনি বলেন, এসব কর্মসূচি কখনো গণতান্ত্রিক আন্দোলন হতে পারে না। গণতন্ত্র রক্ষা করতে দশম সংসদ নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই বলে তিনি মন্তব্য করেন।সেনাবাহিনী সম্পর্কে বিএনপির নেতারা ভিত্তিহীন কথা বলছেন বলে অভিযোগ করেন দীপু মনি। তিনি বলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে সারা দেশে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। নির্বাচনকে সুষ্ঠু করতেই এমনটা করা হয়েছে। তিনি সেনাবাহিনী সম্পর্কে বিএনপির নেতাকে উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়া থেকে বিরত থাকার জন্য আহ্বান জানান। গণমাধ্যম, সুশীল সমাজ সবার প্রতি তিনি সেনাবাহিনীর খবর পরিবেশন সম্পর্কে দায়িত্বশীল থাকার আহ্বান জানান।গোপালগঞ্জ জেলা নিয়ে খালোদা জিয়ার বক্তব্যের তীব্র নিন্দা করেন দীপুমনি। তিনি বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়ার ন্যায় একজন জাতীয় নেত্রী গোপালগঞ্জ জেলা ও তার অধিবাসীদের সম্পর্কে উত্তেজিত, অগ্নিমূর্তি ধারণ করে যে বিষোদগার করেছেন তা কল্পনায় আনতেও আমাদের কষ্ট হয়। প্রকৃতঅর্থে বেগম খালেদা জিয়া গোপালগঞ্জ ও তার অধিবাসীদের লক্ষ্য করে কটাক্ষপূর্ণ উক্তির মধ্য দিয়ে আরেকবার প্রমাণ করেছেন তিনি পাকিস্তানিদের পদলেহী ও পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর দোসর।’বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মস্থান নিয়ে খালেদা জিয়ার ‘প্রতিহিংসা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর প্রতি তার কৃতজ্ঞতা ও আনুগত্যের স্বাক্ষরই বহন করে’ বলেও মন্তব্য করেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী।পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে খালেদা জিয়ার বক্তব্যেকে ‘কুরুচিপূর্ণ’ এবং ‘সভ্যতার জন্য লজ্জা, বলেও উল্লেখ করেন তিনি।প্রধানমন্ত্রীর সংলাপের আহবান ‘খালেদা জিয়া বারংবার চতুর কৌশলের সাথে’ উপেক্ষা ও এড়িয়ে চলেছেন বলে মনে করেন দীপুমনি। সংসদে ৯০ ভাগ আসন থাকার পরও স্বরাষ্ট্র, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়ার জন্য শেখ হাসিনার প্রস্তাব খালেদা জিয়া গ্রহণ করেননি। খালেদা জিয়ার বেছে নেওয়া  ‘সংঘাত, সহিংস অপরাজনীতির পথ’ দেশ ও জাতির জন্য মঙ্গল বয়ে আনবে না বলে মন্তব্য করেন তিনি।‘খালেদা জিয়া ফটোসেশন করেছেন’কর্মসূচীতে যাওয়ার চেষ্টার নামে খালেদা জিয়া ‘ফটোসেশন’ করেছেন বলে মন্তব্য করেন দীপু মনি।১৮ দলীয় জোটের ‘গণতন্ত্রের অভিযাত্রা’ কর্মসূচীতে খালেদা জিয়াকে যেতে বাধা দেওয়া হয়েছে বলে বিএনপির অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে দীপুমনি বলেন, ‘এগারোটার সময় কর্মসূচী দিয়ে খালেদা জিয়া বের হওয়ার চেষ্টা করলেন তিনটার দিকে। তিনি বাসা থেকে বের হলেন, একটা চেয়ার আনা হলো, তিনি বসলেন, হাতে একটি পতাকা নিলেন। তারপর একজন ফটোগ্রাফার এসে ছবি তুললেন, তারপর তিনি বাসার ভেতরে চলে গেলেন। এটা ফটোসেশন ছাড়া আর কিছু নয়।’দীপুমনি আরও বলেন, বিরোধীদলের নেতাকর্মীরা তাদের কর্মসুচীতে একাত্ম হয়নি বলেই কেউ রাস্তায় বের হয়নি। তাই বিরোধীদল ‘মানুষ ভাড়া করে জামায়াত শিবিরকে দিয়ে নাশকতা করাচ্ছে’।বিরোধীদলের কর্মসূচীর কারণে সরকারই অবরোধ দিয়েছে কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারন সম্পাদক বলেন, সরকারের সাংবিধানিক দায়িত্ব হলো জনগণের জানমাল রক্ষা এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদের রক্ষা করা। সরকার তার সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সরকারের নেওয়া ব্যবস্থার কারণে কোন সহিংসতা এবং জানমালের ক্ষতি হয়নি বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
মাত্র ২৮ মিনিট পরই মাঠের বাইরে চলে যাওয়ার মানুষ তো লিওনেল মেসি নন। কোনো সমস্যা যে আছে, সেটা টের পাওয়া গিয়েছিল আলমেরিয়ার বিপক্ষে বার্সেলোনার কালকের ম্যাচটি চলার সময়ই। আশঙ্কাটাই সত্যি প্রমাণিত হলো। হ্যামস্ট্রিংয়ের ইনজুরির কারণে এখন দুই বা তিন সপ্তাহ মাঠের বাইরেই থাকতে হবে আর্জেন্টাইন তারকাকে।আজ পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর মেসির এই ইনজুরির খবরটি নিশ্চিত করেছে বার্সেলোনা। ক্লাবের পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘মেসির ডান পায়ে ছোটখাটো একটা হ্যামস্ট্রিং ইনজুরি ধরা পড়েছে। আর্জেন্টাইন এই ফুটবলারকে এখন দুই বা তিন সপ্তাহের জন্য মাঠের বাইরে থাকতে হবে।’এই সময়ের মধ্যে বার্সেলোনার গুরুত্বপূর্ণ দুটি ম্যাচে মেসিকে থাকতে হবে দর্শক হয়ে। মঙ্গলবার সেল্টিকের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়নস লিগের ম্যাচ আসে বার্সার। ভ্যালাদোলিতের বিপক্ষে লা লিগার পরবর্তী ম্যাচেও মাঠে নামতে পারবেন না। মেসির এই ইনজুরির প্রভাব হয়তো পড়বে আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের দুটি ম্যাচেও। আগামী মাসে পেরু ও উরুগুয়ের বিপক্ষে আর্জেন্টিনাকে খুব সম্ভবত মাঠে নামতে হবে অধিনায়ককে ছাড়াই। অবশ্য বিশ্বকাপ টিকিট নিশ্চিত হয়ে যাওয়ায় এ নিয়ে আফসোস করতে হবে না আর্জেন্টিনার সমর্থকদের।তবে বার্সেলোনা সমর্থকদের জন্য সুখবর, চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে মৌসুমের প্রথম এল ক্লাসিকোটির আগেই সুস্থ হয়ে উঠতে পারবেন মেসি। আগামী মাসের ২৬ তারিখে ন্যু ক্যাম্পে রিয়ালের মুখোমুখি হবে বার্সেলোনা।সম্প্রতি মঞ্চস্থ হয়ে গেল তীরন্দাজ নাট্যদলের প্রযোজনা কণ্ঠনালিতে সূর্য। মোহিত চট্টোপাধ্যায়ের লেখা এ নাটকের নির্দেশনা দিয়েছেন রাজীব দে। নাটকটিতে অভিনয় করেছেন মিতালী দাশ। আজকের পাঁচ প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন তিনি। সাক্ষৎকার নিয়েছেন শফিক আল মামুন‘কণ্ঠনালিতে সূর্য’ নাটকটি মঞ্চে আসার আগে কত দিন সময় নিয়েছেন?মঞ্চে আনার আগে নাটকটি নিয়ে আমরা প্রায় পাঁচ থেকে ছয় মাস ধরে কাজ করেছি। এ নাটক খুবই সাবলীল ও সংলাপনির্ভর। বর্তমান টি-টোয়েন্টির যুগে মঞ্চে ওঠার আগে নাটকটি নিয়ে আমাদের শঙ্কা ও ভয় দুই-ই ছিল। কিন্তু প্রথম প্রদর্শনীতেই দর্শকের বিপুল করতালি পাওয়ায় সেই শঙ্কা কেটে গেছে।নাটকটি দর্শক আলোচনায় এসেছে। নাটকটি নিয়ে এমন কোনো প্রত্যাশা কি ছিল?দীর্ঘদিন ধরে থিয়েটারে কাজ করছি। নতুন নাটক যখন মঞ্চে আসে দলের সবাই সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেই ওই প্রযোজনায় কাজ করে। ফলে নতুন কোনো প্রযোজনা নিয়ে আশা, আকাঙ্ক্ষা, শঙ্কা—সবই থাকে। অন্যদিকে, বর্তমানে ডিস অ্যানটেনার যুগে মিলনায়তনে বসে দর্শক নাটক দেখবেন কি না, সেই ভাবনাও মাথায় রাখতে হয়। তবে ভালো কাজ উপহার দিলে দর্শক আসতে বাধ্য। আমরা একটা ভালো কাজ মঞ্চে আনার প্রত্যয়েই এ নাটক নিয়ে কাজ করেছি।কখন থিয়েটারে যোগ দিলেন?২০০৩ সালে আরণ্যক নাট্যদলে যোগ দিয়ে প্রথম থিয়েটারচর্চার সূচনা। প্রথম কাজ মঙ্গাকাহিনী। এরপর রাঢ়াঙ, এবং বিদ্যাসাগর, ইতি-ইয়োকাস্তে, উপরওয়ালা প্রভৃতি নাটকে অভিনয় করেছি। এরপর যোগ দিয়েছি তীরন্দাজ নাট্যদলে।আরণ্যক নাট্যদল থেকে তীরন্দাজ নাট্যদল কেন?আরণ্যক আমার মঞ্চনাটক শেখার স্কুল। আমি মনে করি, সারা জীবনই আমি আরণ্যক নাট্যদলের। আর তীরন্দাজ নাট্যদলে তারুণ্যের জোয়ার বেশি। কাজের গতিও বেশি। ফলে এই সময়কে ধরে অনেক কাজের সুযোগ রয়েছে এখানে। তাই এখন কাজ করছি এ দলে।কখনো ভাবনায় ছিল থিয়েটারে কাজ করবেন?কখনোই ভাবিনি যে থিয়েটারে করব, প্রতিদিন সন্ধ্যা থেকে শুরু করে রাত অবধি ঘণ্টার পর ঘণ্টা মহড়ায় অংশ নেব। তবে ছোটবেলা থেকে আবৃত্তি, গান ও নাচ করতাম। হঠাৎ করেই আরণ্যক নাট্যদলের অভিনয় কর্মশালায় যোগ দিতে গিয়েই থিয়েটারের নিয়মিত কর্মী হয়ে গেলাম।রাজধানীর মিরপুরে বিআরটিসির থেমে থাকা একটি দোতলা বাসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আজ শুক্রবার বেলা একটার দিকে মিরপুরের বাঙলা কলেজের সামনে এ ঘটনা ঘটে। তবে বাসের চালক বা যাত্রী না থাকায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।পুলিশের দাবি, দুর্বৃত্তরা বাসটিতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে।ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণকক্ষের কর্তব্যরত কর্মকর্তা শাহনাজ পারভীন জানান, মিরপুরের বাঙলা কলেজের সামনের সড়কে দোতলা বাসটিতে আগুন ধরিয়ে দিলে দ্রুত তা ছড়িয়ে পড়ে। ফায়ার সার্ভিসের একটি  ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনে বাসটির বেশ কিছু অংশ পুড়ে যায়। এতে ১৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বাসটি মিরপুর-গাজীপুর  রুটের ছিল।তবে মিরপুর বিভাগীয় পুলিশের উপকমিশনার ইমতিয়াজ আহমেদ প্রথম আলো ডটকমকে জানান, দুর্বৃত্তরা পেট্রল ঢেলে বাসটিত আগুন দিয়েছে। এ জন্য জুমার নামাজের আগের সময়কে তারা বেছে নিয়েছে।আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম গোপালগঞ্জবাসীর উদ্দেশে বলেছেন, ‘আজ থেকে গোপালগঞ্জে খালেদা জিয়া ও বিএনপির রাজনীতি অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হল। আমি বেঁচে থাকি বা না থাকি আপনারা কোনো দিনও খালেদা জিয়াকে গোপালগঞ্জে প্রবেশ করতে দেবেন না।’ আজ সোমবার গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার রঘুনাথপুর দীননাথ উচ্চবিদ্যালয় মাঠে স্থানীয় আওয়ামী লীগ আয়োজিত নির্বাচনী জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।গোপালগঞ্জের নাম বদলে দেওয়া হবে বলে বিরোধী দলের নেতা খালেদা জিয়া যে বক্তব্য দিয়েছেন, তার তীব্র সমালোচনা করেন শেখ সেলিম। তিনি বলেন, গোপালগঞ্জের নাম তিনি কখনো মুছতে পারবেন না। তিনি পাকিস্তানিদের ভাষায় কথা বলেন। ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের পর খালেদা জিয়াকে পাকিস্তান পাঠিয়ে দেওয়া হবে।শেখ সেলিম বলেন, ‘ভণ্ডামিরও একটা শেষ আছে। স্বামী মার্শাল ল দিয়ে দেশ শাসন করে গেছেন। আর তাঁর স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া গণতন্ত্রের জন্য লংমার্চ করছেন। মানুষ এসব পরিহাসে বিশ্বাস করে না।’রঘুনাথপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শ্রীবাস চন্দ্র বিশ্বাসের সভাপতিত্বে জনসভায় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক চৌধুরী, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান শেখ লুত্ফর রহমান, সিকদার নূর মো. দুলু, রঞ্জিত কুমার প্রমুখ বক্তব্য দেন।
শেয়ার লেনদেনের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের গুজবে কান না দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি জেএমআই সিরিঞ্জ অ্যান্ড মেডিকেল ডিভাইসেস লিমিটেড। সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারের দাম অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পাওয়ায় আজ রোববার বিনিয়োগকারীদের এই পরামর্শ দেওয়া হয়।আজ ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ওয়েবসাইট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশে প্রতিষ্ঠানটি জানায়, বর্তমানে জেএমআই সিরিঞ্জের কাছে কোনো মূল্যসংবেদনশীল তথ্য নেই। এ ছাড়া তাদের পরিচালনা পর্ষদও এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি, যা প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারের দামে কোনো প্রভাব ফেলতে পারে। আর তাই বিনিয়োগকারীদের এই প্রতিষ্ঠানের শেয়ারে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সব ধরনের গুজব থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।ডিএসই সূত্রে জানা যায়, গত ১৯ জুন ডিএসইতে জেএমআই সিরিঞ্জের লেনদেন শুরু হয়। ওই দিন প্রতিষ্ঠানটির প্রতিটি শেয়ারের দাম ছিল ৩৫.৫০ টাকা। গত ২৩ জুলাই তা ৩২২ টাকায় ওঠে। আর আজ সর্বশেষ দাম ছিল ২৬৭ টাকা। সাম্প্রতিক সময়ে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারের দাম অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পাওয়ায় বিষয়টি নজরে এলে ডিএসইর পক্ষ থেকে অনুসন্ধান চালানো হয়।নীনা কোন গান শুনছ? ‘বঁধুয়া আমার চোখে জল এনেছে বিনা কারণে নাকি তেরে বিনা?’ কিংবা ‘শাওন রাতে যদি’ গানটা কি তোমার বেশি পছন্দ? শায়েরী ফোন করে আমাকে বলে। আরও বলে, থ্রি ইডিয়টস আমি দেখেছি, তুমি দেখোনি?  জারিন তাসনিম শায়েরী আমার নাতনি। অপূর্ব সুন্দরী কিন্তু ডাক্তারদের মতে সে অটিস্টিক। বয়স ১৩ বছর।শায়েরী পড়াশোনা করতে, টিভি দেখতে আর গান শুনতে খুব পছন্দ করে। ওর স্মরণশক্তি অসাধারণ। অটিজম  ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন ডা. রওনক হাফিজের পরামর্শে ওকে নরমাল স্কুলে ভর্তি করানো হয়। ঢাকার লালবাগের বশিরউদ্দিন সরকারি প্রাইমারি স্কুল থেকে পঞ্চম শ্রেণীর সমাপনী পরীক্ষায় ভালোভাবে পাস করেছে। ইংরেজি ওর প্রিয় বিষয়। কিন্তু অঙ্কে কাঁচা। ও এখন একটি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে সপ্তম শ্রেণীতে পড়ছে। ও কম্পিউটার, মোবাইল থেকে নিজের পছন্দমতো গান বের করে শুনতে পারে। ও অনেক গান জানে—বাংলা, হিন্দি, ইংরেজি। ও জানায়, সে স্টেজ শো করবে। শায়েরীর অনেক কিছু করার ইচ্ছে। সবচেয়ে বেশি আগ্রহ পড়াশোনায়। হঠাৎ যদি ওর পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যায়, তো ওর জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠবে।শায়েরীর অনেক অসুবিধাও রয়েছে। যেমন ওকে একা ছেড়ে দেওয়া যায় না, সব সময় খেয়াল করতে হয়। কিছু কিছু শব্দ ওর কাছে অনেক ভীতিকর। ওর মধ্যে সব সময় একটা অস্থিরতা কাজ করে। এই শায়েরীকে নিয়ে ওর বাবা-মায়ের চিন্তার শেষ নেই।এখন অটিজম সম্পর্কে কমবেশি সবাই জানে। প্রধানমন্ত্রীর মেয়ে সায়মা হোসেন পুতুল বাংলাদেশে অটিজমের ওপর কাজ করছেন। অটিজম দিবসে প্রধানমন্ত্রী পড়াশোনায় আগ্রহী এসব শিশুকে নরমাল স্কুলে ভর্তি করানোর কথা বলেছিলেন। সায়মা হোসেনও বলেছিলেন, ওদের জন্য যা করা দরকার, উনি করবেন। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ থেকে স্কুলগুলোতে নির্দেশ না এলে তো কিছুই হবে না।অভিজ্ঞতার আলোকে সব অটিস্টিক শিশু যাতে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারে এবং কিছুটা হলেও নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে, তার জন্য নিম্নে বর্ণিত ব্যবস্থাগুলো গ্রহণ করা প্রয়োজন বলে মনে করছি।১. দেখা যায় অটিস্টিক শিশুরা সব বুঝলেও বেশি বড় উত্তর পড়তে বা লিখতে চায় না। তাই ওদের জন্য কিছুটা সংক্ষিপ্ত সিলেবাস চাুল করা প্রয়োজন। ২. উত্তর দেওয়ার সুবিধার্থে প্রশ্নের ধরনটাও আলাদা হওয়া দরকার। ৩. ওদের যেহেতু মনোযোগ কম আর হাতের সমস্যা থাকে, সে জন্য পরীক্ষার বাড়তি সময়টা ১৫ মিনিট থেকে বাড়িয়ে এক ঘণ্টা করলে ভালো হয়। ৪. পাঠ্যবইয়ে কিছু কিছু বিষয় দেখা যায়, ওরা একদমই পছন্দ করে না। তাই সিলেবাসে বিকল্প বিষয় নেওয়ার সুযোগ থাকা দরকার। ৫. যেহেতু সব শিক্ষক ওদের সমস্যাগুলো বুঝতে পারেন না, তাই নির্দিষ্টসংখ্যক শিক্ষককে ওদের সম্পর্কে অবহিত করতে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করলে পড়ানোটা অনেক সহজ হবে। ৬. অটিজম দিবসে এবং অন্য সময়ে সময়ে রাষ্ট্র থেকে ওদের নিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। উল্লিখিত বিষয়ের আলোকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানাচ্ছি।দিলারা আখতারঅবসরপ্রাপ্ত সহযোগী অধ্যাপকনীলফামারী সরকারি কলেজ, নীলফামারী।হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন বিনোদ কাম্বলি। ভারতের সাবেক এই ক্রিকেটারকে আজ মুম্বাইয়ের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে জানানো হয়েছে।৪১ বছর বয়সী কাম্বলি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা  দেন ২০০৯ সালে। এর প্রায় এক দশক আগে থেকেই অবশ্য অবসরে ছিলেন তিনি। কাম্বলি  ভারতের হয়ে সর্বশেষ টেস্ট খেলেন ১৯৯৫ সালে। তাঁর সর্বশেষ ওয়ানডে খেলার অভিজ্ঞতাটা ২০০০ সালের।১৯৯১ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হওয়া কাম্বলি ১০৪ ওয়ানডেতে দুই হাজার ৪৭৭ রান করেন। সেঞ্চুরি করেছেন দুটি। ১৭ টেস্টে তাঁর সংগ্রহ এক হাজার ৮৪ রান। টেস্টে চার সেঞ্চুরির মধ্যে দুটিই ডাবল। ক্রিকেট বিশ্বে কাম্বলি বিখ্যাত হয়ে আছেন ১৯৮৮ সালে স্কুল ক্রিকেটে শচীন টেন্ডুলকারের সঙ্গে ৬৬৪ রানের জুটি গড়ার জন্য। দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে সেটি ছিল যেকোনো ধরনের ক্রিকেটে সর্বোচ্চ জুটি। তিন দিনের ম্যাচের ঐতিহাসিক ওই ইনিংসে কাম্বলি অপরাজিত থাকেন ৩৪৯ রান নিয়ে। আর লিটল মাস্টার অপরাজিত থাকেন ৩২৬ রান নিয়ে।কৈশোর থেকে কাম্বলি-টেন্ডুলকার ছিলেন মানিকজোড়। একই শহরে থাকলেও তাঁদের মধ্যে যেন এখন মহাসাগরের দূরত্ব। সাত বছর ধরে দুজনের দেখা নেই। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বিদায় নেওয়ার দিনে দীর্ঘ পথচলার সঙ্গীদের প্রায় সবারই নাম একে একে বলেন টেন্ডুলকার। বলেননি শুধু কাম্বলির নাম। বিদায়ী অনুষ্ঠানে ছেলেবেলার বন্ধুকে আমন্ত্রণই নাকি জানাননি লিটল মাস্টার। টেন্ডুলকারের বিদায়ের পর নিজের কষ্টটা আর লুকিয়ে রাখতে পারেননি কাম্বলি, ‘ওর বিদায়ী ভাষণটা শুনে খুব খারাপ লেগেছে। সে সবাইকে ধন্যবাদ দিয়েছে। সতীর্থ, পরিবার, সবাইকে। কিন্তু সে মনে হয় একজনের কথা বলতে ভুলে গিয়েছিল। সেই একজন আমি। আমি ওর খুব কাছের মানুষ ছিলাম। অনেক দিন শচীনের সঙ্গে আমার কথা হয়নি। এটা আমাকে খুবই পীড়া নেয়।’খেলায় বেশ কিছু শব্দের চল হয়েছে। যেমন ২৬ ডিসেম্বর শুরু টেস্টকে বলে বক্সিং ডে টেস্ট। কেন? হ্যাটট্রিক শব্দটিই বা এল কেমন করে? টেনিসে ‘লাভ’ মানে কেন শূন্য? সেসব শব্দ-শব্দবন্ধের গল্প নিয়ে আমাদের নতুন ধারাবাহিক—ক্রীড়া অভিধান। পঞ্চমপর্বে থাকছে ‘ডাকওয়ার্থ-লুইস’। লিখেছেন অনিরুদ্ধ রহমান‘ডি এল’ বলতে সাহিত্য-ঘেঁষা ব্যক্তিরা কবি ও গীতিকার দ্বিজেন্দ্র লালের নামই হয়তো বোঝেন। তবে ক্রিকেট-ঘেঁষা ব্যক্তিরা নিমেষেই বুঝে নেন ডাকওয়ার্থ-লুইস নামের দুর্বোধ এক হিসাবের কথা। ডাকওয়ার্থ ও লুইস আসলে দুটো শব্দ নয়, দুজন ইংরেজ পরিসংখ্যানবিদ ভদ্রলোকের নাম। ক্রিকেট আকাশের মুখ একটু গোমরা মানেই এই দুই ভদ্রলোককে নিয়ে টানাটানি। বৃষ্টি বা অন্য কোনো কারণে বিঘ্নিত কোনো সীমিত ওভারের ম্যাচের শেষ দেখে ছাড়তে আধুনিক ক্রিকেটে ফ্রাঙ্ক ডাকওয়ার্থ ও টনি লুইস নামের এই দুই ভদ্রলোকের অবদান অনস্বীকার্য। তাঁদের হাত ধরেই পাল্টে গেছে আধুনিক ক্রিকেটে বৃষ্টি আইনের সংজ্ঞা।ডি/এল মেথডের আগে বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচের জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়েছে। গড় রান রেট পদ্ধতি, সবচেয়ে ব্যয়বহুল বা মোস্ট প্রডাক্টিভ ওভার পদ্ধতি, দ্বিতীয় ইনিংসের যেই সময় বিঘ্ন ঘটেছে প্রথম ইনিংসে ঠিক তত ওভারের রান। অনেক পদ্ধতি প্রয়োগ করা হলেও সবগুলোতেই বড় ফাঁক রয়ে গিয়েছিল। যার অন্যায্য শিকার হতে হয়েছে কোনো একটা দলকে। এর মধ্যে সবচেয়ে কুখ্যাত হয়ে আছে ১৯৯২ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচটি। বৃষ্টি নামার আগে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রয়োজন ছিল ১৩ বলে ২২ রান। ১২ মিনিটের বৃষ্টি শেষে মোস্ট প্রডাক্টিভ ওভার মেথডে দক্ষিণ আফ্রিকার নতুন লক্ষ্য দাঁড়ায় ১ বলে ২১ রান! অথচ যেখানে ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতি প্রয়োগ করলে দক্ষিণ আফ্রিকার নতুন টার্গেট হতো ১ বলে ৫ রান। ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতিতে জয় কিংবা টাইয়ের অন্তত সুযোগ থাকত।এ সমস্যার সমাধান করে দেন ডাকওয়ার্থ ও লুইস। তাঁরা এমন এক সমীকরণ ব্যবহার করেন, যেটি এখন পর্যন্ত সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য বলেই বিবেচিত। ডাকওয়ার্থ-লুইসের অপরিহার্যতা বা জনপ্রিয়তায় উদ্বুদ্ধ হয়ে ক্রিকেট গানের একটা আইরিশ ব্যান্ড দলও আছে, যে দলের নামই ‘ডাকওয়ার্থ-লুইস মেথড’!অবশ্য ডাকওয়ার্থ-লুইসও সমালোচনার ঊর্ধ্বে নয়। এ পদ্ধতিতে উইকেট এবং ওভারের ভরের ভিত্তিতে করা হলেও উইকেটের প্রতি এতটাই গুরুত্বারোপ করা হয়েছে যে, কোনো বড় রান তাড়া করতে গিয়ে যদি কোনো দল প্রথম ২০-২৫ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৪.৭৫ রেটেও রান করে, তাহলে তা হাতে থাকা উইকেটের কারণে ৬.১ রানের সমান হয়ে যাবে। অর্থাত্ তিন শতাধিক রান তাড়া করতে গিয়ে যদি কোনো দল ২৫ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে ১২০ রানও করে তবুও জয়ের-পরাজয়ের হিসেবে তারাই এগিয়ে থাকবে।ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতি প্রথম ব্যবহূত হয় ১৯৯৬-৯৭ সালের ইংল্যান্ড-জিম্বাবুয়ে সিরিজে এবং বৃষ্টিবিঘ্নিত সীমিত ওভার ম্যাচের জন্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল কর্তৃক আনুষ্ঠানিকভাবে গৃহীত হয় ১৯৯৯ সালে। অল-আউট বা ইতিমধ্যে জিতে না গেলে ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতি প্রয়োগের জন্য একদিনের ম্যাচে কোনো ইনিংসে কমপক্ষে ২০ ওভার এবং টি-২০ ম্যাচে কমপক্ষে ৮ ওভার খেলা হতে হবে। ডাকওয়ার্থ-লুইস ক্যালকুলেশন চাইলে আপনি সহজেই ইন্টারনেট থেকে নামিয়ে নিতে পারেন এবং বৃষ্টি নামার আশঙ্কা দেখা দিলেই নিজেই বের করে নিতে পারেন প্রিয় দলের নতুন জয়ের লক্ষ্য কী।(আগামীকাল পড়ুন: ‘লাভ’ মানে ভালোবাসা নয়, শূন্য)
আজ রবিবার থ্রিজি সেবার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছে গ্রামীণফোন। শুরুতে রাজধানীর কিছু এলাকায় গ্রামীণফোনের থ্রিজি চালু হচ্ছে । বর্তমানে এই নেটওয়ার্ক গ্রামীণফোনের কর্মী এবং কিছু নির্বাচিত গ্রাহক ব্যবহার করতে পারবেন।প্রতিষ্ঠানটির প্রধান কার্যালয়ে  ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী সাহারা খাতুন আনুষ্ঠানিকভাবে এ সেবার উদ্ভোধন করেছেন। এসময় টেলিনর গ্রুপ এর সিইও জন ফ্রেডরিক বাকসাস এবং গ্রামীণফোনের সিইও বিবেক সুদ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।অক্টোবর মাসের মধ্যে ঢাকা ও চট্রগ্রামে থ্রিজি চালু করার কথা জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। ঢাকা ও চট্টগ্রামের নির্বাচিত অঞ্চলের বাইরে ঢাকা শহর, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জে থ্রিজি চালু করা হবে আগামী নভেম্বরের মধ্যে। পরের মাস ডিসেম্বরের মধ্যেই থ্রিজি েআসবে সাত বিভাগীয় শহর। তবে সারা দেশ গ্রামীণের থ্রিজির আওতায় আসবে ২০১৪ সালের মার্চের মধ্যে। থ্রিজি সেবা পেতে গ্রামীণফোনের গ্রাহকদের নতুন কোনো সিমকার্ড কিনতে হবে না।গত ৮ সেপ্টেম্বর দেশে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত থ্রিজি তরঙ্গের ১০ মেগাহার্টজ তরঙ্গ কিনেছে গ্রামীণফোন।বিটিআরসির জুলাইয়ের হিসাব অনুযায়ী দেশে ১০ কোটি ৬৯ লাখ ৩৪ হাজার মোবাইল গ্রাহকের মধ্যে গ্রামীণের গ্রাহক চার কোটি ৪৬ লাখ ৬৬ হাজার। এর মধ্যে গ্রামীণের ইন্টারনেট সেবা নিচ্ছেন ৯০ লাখ গ্রাহক।বলিউড১. মাইকি ভাইরাস: মনীষ পল, এলি আভরাম, বরুণ বাদোলা২. বস: অক্ষয় কুমার, অদিতি রায় হাইদরি, মিঠুন৩. বেশরম: রণবীর কাপুর, পল্লবী শার্দা৪. ওয়ার খুদ না ইয়ার: শারমান জোশি, জাভেদ জাফরি, সঞ্জয় মিশ্র৫. শহীদ: রাজকুমার যাদব, তিগমানশু ঢুলিয়াবলিউড হাঙ্গামা অবলম্বনেহলিউড১. জ্যাকাস প্রেজেন্টস ব্যাড গ্র্যান্ডপা: জনি নক্সভিল, জ্যাকসন নিকোল, গ্রেগ হ্যারিস২. গ্র্যাভিটি: স্যান্ড্রা বুলক, জর্জ ক্লুনি৩. ক্যাপ্টেন ফিলিপস: টম হ্যাংকস, ক্যাথেরিন কিনার, ম্যাক্স মার্টিনি৪. দ্য কাউন্সেলর: মাইকেল ফ্যাসবেন্ডার, ব্র্যাড পিট, পেনিলোপে ক্রুজ৫. ক্লাউডি উইথ অ্যা চ্যান্স অব মিটবল ২: বিল হ্যাডার, আন্না ফ্যারিস, নেইল প্যাট্রিক হ্যারিসবক্স অফিস মোজো অবলম্বনেফরাসি কিংবদন্তি মিশেল প্লাতিনির অগণিত ভক্ত ছড়িয়ে আছেন বিশ্বজুড়ে। কিন্তু সাইপ্রাসের আরেক প্লাতিনি নিশ্চিতভাবেই সবাইকে পেছনে ফেলে দিতে পারবেন। নিজের প্রিয় খেলোয়াড়ের জন্য পুরো একটা জাদুঘরই বানিয়ে ফেলেছেন ফিলিপ্পোস স্টাভ্রোউ প্লাতিনি। ‘মিশেল প্লাতিনি মন্দির’ নামে পরিচিত এই জাদুঘরে আছে ফ্রান্সের সাবেক অধিনায়কের স্মৃতিবিজড়িত ২১ হাজারেরও বেশি স্মারক।ফিলিপ্পোর সংগ্রহশালায় আছে প্লাতিনির ব্যবহার করা বেশ কয়েকটি জার্সি। ৫৮ বছর বয়সী প্লাতিনির ব্যবহার করা একটা কাপও আছে এই জাদুঘরে। দীর্ঘদিন ধরে বিশাল এ সংগ্রহশালাটি গড়ে তোলার জন্য ফিলিপ্পো খরচ করেছেন দুই লাখ ইউরো। আর এখন এটার নাম গিনেস রেকর্ড বুকে তোলারও চেষ্টা করে যাচ্ছেন ফিলিপ্পো। বর্তমানে রেকর্ডটা আছে পর্তুগালের বেনফিকা সমর্থক ফার্নান্দো দা সিলভার দখলে। তাঁর সংগ্রহশালায় আছে ১৬২৫টি সামগ্রী।সর্বকালের সেরা ফুটবলার নির্বাচন নিয়ে অনেক বিতর্ক থাকলেও ফিলিপ্পোর চোখে প্লাতিনিই বিশ্বের সর্বকালের সেরা খেলোয়াড়। নিজের আদর্শ ফুটবলারের সাক্ষাত্ও পেয়েছেন ফিলিপ্পো। ২০০৯ সালে সাইপ্রাস সফরে গিয়ে নিজের এই একনিষ্ঠ ভক্তটির সঙ্গে দেখা করেছিলেন উয়েফার সভাপতি।১৩ বছরের দাম্পত্য জীবনের ইতি টানার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেছেন হৃতিক রোশন ও সুজান রোশন। ১৩ ডিসেম্বর বিচ্ছেদের খবর নিশ্চিত করেছেন হৃতিক নিজেই। পরে সুজানও বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলেন। সম্প্রতি বলিউডকেন্দ্রিক কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে দাবি করা হয়, বিচ্ছেদ মীমাংসার জন্য হৃতিকের কাছে ১০০ কোটি রুপি দাবি করেছেন সুজান। তবে খবরটিকে ভিত্তিহীন ও গুজব বলেই উড়িয়ে দিয়েছেন সুজান।এ প্রসঙ্গে সুজানের ভাষ্য, ‘বিচ্ছেদ মীমাংসার জন্য আমি হৃতিকের কাছে ১০০ কোটি রুপি দাবি করেছি—এমন খবর পড়ে খুবই মর্মাহত হয়েছি। এ খবরে বিন্দুমাত্র সত্যতাও নেই। স্রেফ অনুমানের ওপর ভিত্তি করে এমন খবর রটানো হয়েছে।’সুজান আরও বলেন, ‘এ ধরনের মিথ্যা খবর পরিবেশন নিঃসন্দেহে অনৈতিক একটি কাজ। এভাবে কারও ব্যক্তিগত জীবনে হস্তক্ষেপ করা একদমই উচিত নয়।’ জানিয়েছে হিন্দুস্তান টাইমস।২০০০ সালের জানুয়ারি মাসে ‘কহো না পেয়ার হ্যায়’ ছবির মাধ্যমে বলিউডে সফল অভিষেক হয়েছিল হৃতিকের। একই বছরের ডিসেম্বরে সুজানকে ভালোবেসে বিয়ে করেন তিনি। বিয়ের আগে কয়েক বছর চুটিয়ে প্রেম করেছিলেন তাঁরা। বছরের পর বছর ধরে বলিউডের অন্যতম সফল ও সুখী দম্পতি হিসেবে উচ্চারিত হয়েছে তাঁদের নাম।হূতিক-সুজান দাম্পত্যে প্রথম অশান্তির ঢেউ ওঠে ২০১০ সালে। সে বছর মুক্তি পাওয়া ‘কাইটস’ ছবিতে সহ-অভিনেত্রী মেক্সিকান মডেল ও অভিনেত্রী বারবারা মোরির সঙ্গে হূতিকের সখ্যের খবর চাউর হলে দূরত্ব তৈরি হয় হূতিক ও সুজানের মধ্যে। ধারণা করা হচ্ছে, হূতিক-বারবারা সখ্যের চূড়ান্ত পরিণতি হিসেবেই বিচ্ছেদের মতো কঠিন পথ বেছে নিয়েছেন সুজান।বেশ কিছুদিন ধরেই হূতিক-সুজান বিচ্ছেদের গুঞ্জন চলছিল। শুরুতে অস্বীকার করলেও চলতি মাসের ১৩ তারিখে বিচ্ছেদের খবর নিশ্চিত করেন হূতিক। এরপর রোশন পরিবারের কাছের একটি সূত্র জানায়, চার মাস ধরে রোশন পরিবার থেকে দূরে আছেন সুজান। তিনি পেশায় একজন ইন্টেরিয়র ডিজাইনার। ডিসেম্বরে তিনি নিজের একটি বুটিক হাউস খোলেন। বুটিক হাউসের কাছেই মুম্বাইয়ের ভারসোভা এলাকায় দুই ছেলে রিহান ও রিদানকে নিয়ে আলাদা বাসায় থাকছেন সুজান।এদিকে হৃতিক ও সুজানের বিচ্ছেদের পেছনে বলিউডের অভিনেতা অর্জুন রামপালের হাত রয়েছে বলেও খবর চাউর হয়েছিল। অবশ্য বিষয়টিকে অস্বীকার করেন অর্জুন। তিনি বলেন, ‘হৃতিক ও সুজান দুজনই আমার খুব কাছের বন্ধু। কাছের কেউ যখন বিচ্ছেদের মতো কঠিন সিদ্ধান্ত নেয়, তখন এমনিতেই মনটা অনেক খারাপ হয়ে যায়। জীবনের কঠিনতম সময় পার করছে হূতিক ও সুজান। এ অবস্থায় অযথা ভিত্তিহীন গুজব ছড়ানোর কোনো মানে হয় না। তাঁদের বিচ্ছেদে আমার সম্পৃক্ততা নিয়ে আজেবাজে কেচ্ছা-কাহিনি রটানো হচ্ছে। এটা আমাকে খুবই মর্মাহত করেছে। হূতিক-সুজানের এই কঠিন সময়ে আমি ও আমার স্ত্রী মেহের সব রকম সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে চাই। বরাবরের মতো এখনো আমরা তাঁদের পরিবারের সদস্যদের সর্বাঙ্গীণ মঙ্গল কামনা করছি।’অর্জুনের পক্ষে সাফাই গেয়েছেন সুজানও। তিনি বলেছেন, ‘হৃতিক ও আমার খুবই কাছের একজন বন্ধু অর্জুন। আমাদের বন্ধুত্বের বন্ধন অনেক বেশি দৃঢ়। অযথাই কাউকে দোষারোপ করার বিষয়টি একদমই অনুচিত একটি কাজ।’হৃতিকের সঙ্গে বিচ্ছেদ নিয়ে মুখ খুললেও বিচ্ছেদের কারণ সম্পর্কে স্পষ্ট করে কিছু বলেননি সুজান। এ প্রসঙ্গে তাঁর ভাষ্য, ‘অনেক সময় কোনো কারণ ছাড়াই অনেক কিছু ঘটে যায়। পরিস্থিতিই মানুষকে বাধ্য করে অপ্রত্যাশিত কোনো সিদ্ধান্ত নিতে। বিচ্ছেদের কারণ নিয়ে আমি স্পষ্ট করে কিছু বলতে চাই না। কারণ আমি নিজেও একজন মা ও মেয়ে।’
বিএনপিকে জড়িয়ে জাতিসংঘে দেওয়া প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ কূটনৈতিক ভদ্রতার সব সীমা অতিক্রম করেছে বলে অভিযোগ করেছে প্রধান বিরোধী দল। আজ রোববার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া এই ভাষণের প্রতিবাদ জানানো হয়।সম্মেলনে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী অভিযোগ করেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ রাষ্ট্রাচার, শিষ্টাচার, কূটনৈতিক ভদ্রতার সব সীমা অতিক্রম করেছে।’ তিনি বলেন, গত শুক্রবার জাতিসংঘের অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত স্বাধীনতাবিরোধীদের একটি সন্ত্রাসী চক্র গড়ে তোলা হয়। বর্তমানে দেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি ওই সময় জামায়াতের সঙ্গে জোট করে ক্ষমতায় গিয়েছিল। এই চক্র বর্তমান প্রধানমন্ত্রীকে বারবার হত্যার চেষ্টা করেছে।প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করে রিজভী বলেন, দেশে সারাক্ষণ বিরোধী দলের প্রতি বিষোদ্গার করেও প্রধানমন্ত্রীর প্রতিহিংসার খুদা মিটছে না। তাই এখন আন্তর্জাতিক ফোরামেও নিজের দেশের প্রধান বিরোধী দলের বিরুদ্ধে কুত্সা অব্যাহত রেখেছেন।বিরোধী দলের প্রতি বিদ্বেষ ও প্রতিহিংসা পূরণে প্রধানমন্ত্রীর তৃপ্তি মিটছে না। তাই দেশ, কাল, পাত্র কোনো কিছুই তিনি গ্রাহ্য করছেন না।প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্যের মধ্য দিয়ে মূলত তিনি দেশের জনগণকে অপমানিত করেছেন বলেও মন্তব্য করেন রিজভী।আজকের সম্মেলনে দলের অর্থবিষয়ক সম্পাদক এম এ সালাম, সহদপ্তর সম্পাদক আসাদুল করিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।স্মরণসভায় বক্তারাআবদুল হক চৌধুরীর ইতিহাসচর্চায় মৌলিকত্ব রয়েছেনানা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে গত শনিবার গবেষক আবদুল হক চৌধুরীর ১৯তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে। চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব মিলনায়তনে গবেষক আবদুল হক চৌধুরী স্মৃতি পরিষদের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা। পরিষদের সভাপতি সাংবাদিক অরুণ দাশগুপ্তের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক শিরীন আখতার। আলোচক ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক সৌরেন বিশ্বাস ও অলিয়ঁস ফ্রঁসেজ চট্টগ্রামের প্রথম উপপরিচালক গুরুপদ চক্রবর্তী।সৌরেন বিশ্বাস বলেন, আবদুল হক চৌধুরী ছিলেন একজন চারণ ইতিহাসবিদ। কারণ তিনি গবেষণা করেছেন তৃণমূল পর্যায়ে গিয়ে। সব মিলিয়ে তিনি একজন অনন্য, অসাধারণ।মূল প্রবন্ধে শিরীন আক্তার বলেন, আবদুল হক চৌধুরীর ইতিহাসচর্চায় মৌলিকত্ব রয়েছে। তাই ইতিহাসচর্চা করতে হলে তাঁর মতো ব্যক্তির কাছেই আমাদের যেতে হবে বারবার।সভায় পরিবারের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তাঁর ছেলে অধ্যাপক শহীদুল আমিন চৌধুরী। জীবনী পাঠ করেন ডি কে দাশ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন কল্যাণ চক্রবর্তী।এর আগে সকালে আবদুল হক চৌধুরীর গ্রামের বাড়ি রাউজানের নোয়াজিশপুরে খতমে কোরআন ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। বিজ্ঞপ্তি।নুরুদ্দীন জাহেদ মনজুর মৃত্যুবার্ষিকী পালনজাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি অধ্যাপক নুরুদ্দীন জাহেদ মনজুর দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে প্রত্যয় ৭১ বাংলাদেশ আলোচনা সভার আয়োজন করে।২৫ অক্টোবর সংগঠনের সহসভাপতি লোকপ্রিয় বড়ুয়ার সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন প্রয়াতের জ্যেষ্ঠ ছেলে ইসতিয়াক আজিজ জাহেদ, সাইফুদ্দীন খালেদ, যুবলীগ নেতা রেজাউল করিম, সাইফুদ্দীন খালেদ ওরফে রানা, মো. সাহাব উদ্দীন, জায়সী জিসান ইসলাম, রবিউল হোসেন, মো. ফারুক, মো. মহসিন প্রমুখ।অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদিকা শামীমা হারুন। এর আগে সংগঠনের নেতা-কর্মীরা প্রয়াতের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। বিজ্ঞপ্তি।ইলিশ ধরায় ১১ দিনের নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়িতইলিশ সম্পদ সংরক্ষণে সরকারের জারি করা ১১ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছে ২৩ অক্টোবর। এই ১১ দিন উপকূলীয় এলাকার ভোলা, পটুয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার সাত হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকায় ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ ছিল।নিষেধাজ্ঞা শুরুর প্রথম দিনেই নগরের বহদ্দারহাট কাঁচাবাজারে ২৭ কেজি ইলিশসহ মাছ বিক্রেতা মো. এনামকে (৩৫) আটক করে জেলা মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।এ ছাড়া ৭০০ মিটার জালসহ সন্দ্বীপ চ্যানেল থেকে এক জেলেকে আটক করে এক মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ১৮ অক্টোবর মিরসরাই উপজেলার সাহেরখালী থেকে হাইতকান্দি পর্যন্ত বঙ্গোপসাগরে অভিযান চালিয়ে ৭০০ ঘনফুট জাল জব্দ করা হয়।১১ দিনের অভিযানে মীরসরাইয়ের তিনটি ঘাটের ৯২টি, সন্দ্বীপের ২৯০টি, সীতাকুুণ্ডের ৩৫০টি এবং নগরের কাট্টলী আনন্দ বাজারের ৮০০টি ইলিশ ধরার নৌকাকে মাছ ধরা থেকে বিরত রাখা হয়। জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফারুক আহমদের নেতৃত্বে ২১ সেপ্টেম্বর নগরের আনন্দ বাজার মৎস্য আড়ত, পাথরঘাটা ফিশারীঘাটসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালানো হয়। অভিযানকালে ১০০ মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়। বিজ্ঞপ্তি।আহরণের পাঠকসভা অনুষ্ঠিতপরিবেশ উন্নয়ন ও জ্ঞানচর্চামূলক সংগঠন আহরণের আনন্দ অনুষ্ঠান ও পাঠকসভা ১৮ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হয়। রাঙ্গুনিয়ার বেতাগী চম্পাতলীতে আয়োজিত এই পাঠক সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিচারপতি খাদেমুল ইসলাম চৌধুরী।জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে শুরু হওয়া অনুষ্ঠানে ছিল আবৃত্তি, গল্প ও গান। অনুষ্ঠানে আহরণের ঘোষণা- পত্র পাঠ করেন একাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী চৌধুরী রবিউল হাসান। প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে সুন্দরবনের কাছে রামপালে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের পরিকল্পনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষ সম্মান শ্রেণীর শিক্ষার্থী চৌধুরী মুনজিবা ইশরাক। বিজ্ঞপ্তি।প্রবাসী কল্যাণ সংস্থার তৃতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্যাপনপ্রবাসী কল্যাণ সংস্থার তৃতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠান ২৬ অক্টোবর নগরের একটি হোটেল মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া। সভাপতিত্ব করেন সংস্থার সহসভাপতি নুরুল হুদা। বিশেষ অতিথি ছিলেন দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মফিজুর রহমান, মিরসরাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, ফটিকছড়ি উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান এ টি এম পেয়ারুল ইসলাম ও আলকরণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর দিদারুর রহমান। সাধারণ সম্পাদক এম. শফিউল আলমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন মাহমুদ হাসান, শেখ জয়নাল আবেদীন, মোহাম্মদ ইলিয়াছ, হামিদুর রহমান, আবুল হাশেম, আবদুল হামিদ, আবদুল মোতালেব, আবুল কাশেম, মহিউদ্দিন আহমদ, প্রশান্ত বড়ুয়া, নুরুল আলম, শওকত আকবর, মোরশেদুল আলম, সেলিম জাহাঙ্গীর, মইনুল আলম, শরীফ বাবু প্রমুখ।প্রধান অতিথি বলেন, প্রবাসীরা যে রেমিট্যান্স পাঠান তা দেশের উন্নয়নমূলক কাজে অগ্রণী ভূমিকা রাখে। গত ২০১২-১৩ অর্থবছরে এক হাজার ৪৪৬ কোটি ডলার রেমিট্যান্স আসে, যা স্বাধীনতার পর সবচেয়ে বেশি। আরও বেশি রেমিট্যান্স পাঠানোর জন্য প্রবাসীদের আহ্বান জানান তিনি। বিজ্ঞপ্তি।মুজাফ্ফরাবাদ শ্যামা পূজা উদ্যাপন পরিষদ গঠিতশুভাশীষ চৌধুরীকে সভাপতি এবং সুকান্ত চৌধুরীকে সাধারণ সম্পাদক করে পটিয়ার মুজাফ্ফরাবাদ শ্যামা পূজা উদ্যাপন পরিষদ গঠিত হয়েছে। গত সোমবার মুজাফ্ফরাবাদ সর্বজনীন কালীমন্দির প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এ কমিটি গঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিধান রায় চৌধুরী।সভায় বক্তব্য দেন বাবুল চৌধুরী, অটল চৌধুরী, মনোজিত বিশ্বাস, তাপস চৌধুরী, সঞ্জয় চৌধুরী প্রমুখ। সভায় আগামী ২ নভেম্বর শনিবার শ্যামাপূজা উপলক্ষে সন্ধ্যা ছয়টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত আরতি প্রতিযোগিতা, প্রসাদ বিতরণ ও অঞ্জলি প্রদানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর পরদিন গীতাপাঠ, মায়ের ভোগ, প্রসাদ বিতরণ ও আরতি প্রতিযোগিতা আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিজ্ঞপ্তি।মেট্রোপলিটন সংবাদপত্র বিক্রেতা সমবায় সমিতির কর্মকর্তাদের শপথগ্রহণমেট্রোপলিটন সংবাদপত্র বিক্রেতা সমবায় সমিতি লিমিটেডের নবনির্বাচিত কর্মকর্তাদের পরিচিতি সভা ও শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান সংগঠনের সভাপতি বাদল চন্দ্র নাথের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।২৬ অক্টোবর হাজারী লেইনে সংগঠন কার্যালয়ে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সংগঠনের উপদেষ্টা মো. শফর আলী। বক্তব্য দেন কোতোয়ালি থানা সমবায় কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম, কামাল উদ্দিন চৌধুরী, নজরুল ইসলাম মজুমদার, জয়নাল আবেদীন, সমীর কান্তি নাথ, মিজানুর রহমান, সিরাজ উদ্দিন, রাজীব চন্দ্র নাথ, শিমুল কুমার নাথ, মো. নূর নবী, মো. নুরুর রহমান, রবিউল আকবর ও জিয়া উদ্দিন।শপথ গ্রহণকারী কর্মকর্তারা হলেন সভাপতি বাদল চন্দ্র নাথ, সহসভাপতি মো. আমিন উল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক মো. কবির আহমদ, কোষাধ্যক্ষ সমীর কান্তি দেবনাথ, সদস্য মো. ইউসুফ মজুমদার, মো. খায়ের উদ্দিন, মো. নূর নবী, মো. রফিকুল ইসলাম, মো. মোবারক হোসেন, বাসু দেবনাথ, ফয়েজ আহমদ ও পলাশ ভৌমিক। শপথবাক্য পাঠ করান মো. শফর আলী।গত ১২ অক্টোবর মেট্রোপলিটন সংবাদপত্র বিক্রেতা সমবায় সমিতি লিমিটেডের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। বিজ্ঞপ্তি।রাউজানের কদলপুরে কৃষি ব্যাংকের শাখা উদ্বোধনরাউজান উপজেলার কদলপুর ইউনিয়নের আশরাফ আলী চৌধুরী হাটে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের নতুন শাখা উদ্বোধন করা হয়েছে। ২৪ অক্টোবর সকালে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবদুস সালাম। ব্যাংকের চট্টগ্রাম বিভাগীয় মহাব্যবস্থাপক মোয়াজ্জেম হোসেন ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কদলপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মোজাহিদ উদ্দিন চৌধুরী, কদলপুর হামিদিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আবু জাফর, চট্টগ্রাম কলেজের সহযোগী অধ্যাপক মোজাহিদুল ইসলাম চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা মোহা. হাশেম চৌধুরী ও ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ইলিয়াছ চৌধুরী। কৃষি ব্যাংকের কেন্দ্রীয় ও শাখা কার্যালয়ের কর্মকর্তারা এতে উপস্থিত ছিলেন। বিজ্ঞপ্তি।বোধনের আবৃত্তি অনুষ্ঠান কালবোধন আবৃত্তি স্কুলের আয়োজনে নবীন আবৃত্তি শিল্পীদের নিয়ে অনুষ্ঠান ‘জাগো সুন্দর’ আগামীকাল ১ নভেম্বর নগরের মিউনিসিপ্যাল উচ্চবিদ্যালয় মিলনায়তনে বেলা তিনটায় অনুষ্ঠিত হবে।এতে আবৃত্তি করবেন ‘ক’ ও ‘খ’ বিভাগের শিক্ষার্থীরা। অনুষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট সবাইকে উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি।তারকা দম্পতি মীর সাব্বির ও ফারজানা চুমকীর সংসারে এসেছে নতুন অতিথি। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে ধানমন্ডির একটি হাসপাতালে সাব্বিরের স্ত্রী অভিনয়শিল্পী ফারজানা চুমকী পুত্রসন্তানের জন্ম দিয়েছেন। চুমকীর অস্ত্রোপচারের দায়িত্বে ছিলেন চিকিত্সক জিনাত আরা নাসরীন।প্রথম আলো ডটকমকে মীর সাব্বির বলেন, ‘আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করছি এ জন্য যে, তিনি সুস্থভাবে আমাদের সন্তানকে পৃথিবীর আলোর মুখ দেখিয়েছেন। আমরা খুবই সুন্দর একটি সময় পার করছি। আমাদের পরিবারের সবাই অনেক খুশি। সবাই আমাদের নতুন সন্তানের জন্য দোয়া করবেন।’এদিকে সাব্বির মজা করে বলেন, ‘আমার প্রথম সন্তানের জন্ম হয়েছিল ২০০৬ সালের ১২ নভেম্বর। সে সময় আওয়ামী লীগের ডাকা অবরোধ চলছিল। আর এবার বিএনপির ডাকা অবরোধ চলাকালীন আমার দ্বিতীয় সন্তানের জন্ম হলো। তবে মন থেকে বলছি, আমরা সাধারণ মানুষ, আমরা শান্তি চাই। স্বাভাবিকভাবে বাঁচতে চাই। এত অবরোধ, এত হরতাল আর ভালো লাগে না।’মীর সাব্বির জানান, এখনো তাঁর নবাগত সন্তানের নাম রাখা হয়নি। তিনি আরও জানান, দু-এক দিনের মধ্যে তাঁরা নবাগত সন্তানকে নিয়ে তাঁদের ধানমন্ডির বাসায় ফিরবেন।উল্লেখ্য, ২০০৩ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি ভালোবাসা দিবসে ভালোবেসে বিয়ে করেন মীর সাব্বির ও ফারজানা চুমকী। তাঁদের সংসারে মীর ফারশাদ নামের সাত বছর বয়সী একটি ছেলেসন্তান রয়েছে।প্রাচীনকালে রাজা-মহারাজাদের অদ্ভুত কিছু খেয়াল ছিল। তাঁদের হেঁয়ালি মনের বহিঃপ্রকাশ হিসেবেই পৃথিবী পেয়েছে আশ্চর্য কিছু নিদর্শন। একবিংশ শতাব্দীর এ যুগে সে অর্থে রাজা-মহারাজার দেখা মেলা ভার। তবে তাঁদের ছায়া খুঁজে পাওয়া যায় ক্লাব ফুটবলের মালিকদের মধ্যে। নিশ্চয় জানা রয়েছে, টাকার ‘তিমি’ না হলে ক্লাবের মালিক হওয়া যায় না, নামকরা ফুটবলারদের পোষা যায় না! এই ক্লাবের মালিকদের মধ্যে অদ্ভুত খেয়াল লক্ষ করা যায়।যেমন ধরুন, চেলসির মালিক রোমান আব্রাহামোভিচের কথা। এ রুশ ধনকুবেরের নেশাই নাকি কোচ ছাঁটাই করা! ২০০৩ সালে ব্লুদর মালিকানা নেওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত আটবার কোচ বদল করেছেন। এর চেয়ে মজার খেয়াল রয়েছে আরেকজন মালিকের। তিনি কার্ডিফ সিটির মালিক ভিনসেন্ট ট্যান। এ মালয়েশিয়ান ধনকুবের ঘোষণা করেছেন, যেসব খেলোয়াড়ের জন্ম তারিখে ৮ সংখ্যাটি রয়েছে, তাঁদের কিনবে কার্ডিফ সিটি। ধরা যাক, কোনো খেলোয়াড়ের জন্ম তারিখ ৮, জানুয়ারি ১৯৮৮। ফলে সেই নতুন বছরে ট্যানের ক্লাবে খেলার অগ্রাধিকার পাবে!২০১০ সালে কার্ডিফ সিটি কেনার পরই ট্যান প্রথমেই দলের ঐতিহাসিক রং নীল বদলে লাল করেন। এ কারণে তাঁদের বলা হতো ‘দ্য ব্লু বার্ডস’! রং পরিবর্তন হলেও ডাকনাম অবশ্য এখনো বদল হয়নি। লাল রং ধারণ করেই খেললে নীল পাখিরা। কয়দিন আগে দলের কোচ মালকি ম্যাকাইকে ছাঁটাই করে সমর্থকদের তোপের মুখে রয়েছেন তিনি। এখন ‘সংখ্যাতত্ত্ব’ প্রবর্তন করার পর সমর্থকদের কী প্রতিক্রিয়া আসে, সেটাই দেখার বিষয়।খেলোয়াড়দের প্রতিভার চেয়ে গুরুত্ব পাচ্ছে তাঁর জন্ম তারিখের সংখ্যা—এর চেয়ে হাস্যকর কিছু আর কী হতে পারে!
জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু করতে হলে রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব থেকে জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) সরিয়ে দিতে হবে। প্রশাসনে দলীয়করণের কারণে তাঁদের প্রতি আস্থা রাখা যায় না। ডিসিদের পরিবর্তে নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব কর্মকর্তাদের ওপর রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব দিতে হবে।ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাচন ও নির্বাচন কমিশনবিষয়ক গবেষণা প্রতিবেদনে এই সুপারিশ করা হয়েছে। আজ রোববার ব্র্যাক সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ‘কার্যকর নির্বাচন কমিশন: অগ্রগতি, চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক ওই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।অনুষ্ঠানে টিআইবির ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এম হাফিজ উদ্দিন খান বলেন, দলীয়করণের কারণে জেলা প্রশাসকদের ওপর আস্থা রাখা যায় না। তাই নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব থেকে জেলা প্রশাসকদের সরিয়ে নিতে হবে। এ দায়িত্বটি নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব জনবলকে ছেড়ে দিতে হবে। তিনি আরও বলেন, সরকার নির্বাচন কমিশনকে যে সহায়তা দেয়, তা যথেষ্ট নয়। কমিশনের দৃষ্টিভঙ্গিও ইতিবাচক নয়। তারা কারও সঙ্গে কোনো আলোচনা ছাড়াই গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধনের প্রস্তাব করেছে চুপিসারে।টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু করতে হলে সরকারকে রাজনৈতিক দলগুলোর আস্থা অর্জন করতে হবে। সংসদ বহাল রেখে নির্বাচন করলে সবার জন্য সমান সুযোগ থাকবে না। নির্বাচন সুষ্ঠু হলেও তা নিয়ে বিতর্ক উঠবে, গ্রহণযোগ্য হবে না।গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন টিআইবির সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার শাহজাদা এম আকরাম। তিনি বলেন, নির্বাচনী আইন ও নির্বাচন কমিশনের কর্মকাণ্ড পর্যালোচনা, কমিশনের প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বিশ্লেষণ, কমিশনের অংশীদারদের ভূমিকা পর্যালোচনা এবং কমিশনের ভবিষ্যত্ করণীয় সম্পর্কে সুপারিশ করার জন্য ওই গবেষণা করা হয়েছে।প্রতিবেদনে কমিশনের আইনি সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে বলা হয়েছে, বর্তমানে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও কমিশনারদের নিয়োগসংক্রান্ত কোনো আইন নেই। নির্বাচিত সাংসদদের কেউ কেউ অযোগ্য প্রমাণিত হওয়ার পরও তাঁদের সদস্যপদ বাতিলের ক্ষমতা কমিশনের নেই। যে কারণে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত নির্বাচনগুলোতে আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ উঠলেও কমিশন সক্রিয় ভূমিকা রাখতে পারেনি। আরও বলা হয়েছে, নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিষয়ে আদালতে ১৯টি মামলা হলেও নিষ্পত্তি হয়েছে মাত্র চারটি। এ ছাড়া স্থানীয় সরকার নির্বাচনসংক্রান্ত প্রায় দুই হাজার মামলার মধ্যে এখন পর্যন্ত মাত্র দুটি নিষ্পত্তি হয়েছে। সরকারও নির্বাচন কমিশনকে যথাযথ সহযোগিতা করছে না। আইন সংস্কারের ক্ষেত্রে কমিশনের বেশ কিছু ইতিবাচক সুপারিশ তারা গ্রহণ করেনি। কমিশনারদের নিয়োগসংক্রান্ত আইন তৈরি করেনি। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে কমিশনকে সহযোগিতা করছে না।সম্প্রতি অনুষ্ঠিত কয়েকটি নির্বাচনে আচরণবিধি প্রয়োগের সক্রিয়তার অভাব এবং কমিশনের ক্ষমতা কমানোর সুপারিশসহ কিছু বিতর্কিত উদ্যোগের কারণে কমিশনের ওপর জনগণের আস্থা কমেছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। আরও বলা হয়েছে, রাজনৈতিক দলগুলো নিয়মিত তাদের আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দিলেও কমিশন তা প্রকাশ না করে নেতিবাচক ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে।প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নির্বাচনের সময় নির্ধারণ, নির্বাচনী প্রচারণায় মন্ত্রী-সাংসদদের প্রভাব রোধ করা, জেলা প্রশাসকদের রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব দেওয়া, আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ, কালোটাকা ও পেশিশক্তি নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদি বিষয়গুলো নির্বাচন কমিশনের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। আরও বলা হয়েছে, অনেক ক্ষেত্রে কমিশনের ক্ষমতা বাড়লেও সংসদ বহাল রেখে নির্বাচন করা কঠিন। নির্বাচন পরিচালনায় প্রশাসনের ওপর নির্ভরশীলতাও বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ বিভিন্ন সময়ে প্রশাসনে দলীয়করণ হয়েছে।টিআইবির সুপারিশে বলা হয়েছে, কমিশনের নিজস্ব কর্মকর্তাদের রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব দেওয়া হলে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে। এ ছাড়াও নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী করার ব্যাপারে সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করা, আইন সংশোধনের মাধ্যমে সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করা, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও কমিশনারদের নিয়োগ আইন তৈরি করা, নির্বাচনের ফল ঘোষণার পরবর্তী তিন মাস পর্যন্ত নির্বাচনী দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তাদের কমিশনের অধীনে রাখা, রাজনৈতিক দলের তৃণমূল কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী মনোনয়ন দেওয়া বাধ্যতামূলক করা, আপিল দায়েরের ছয় মাসের মধ্যে নির্বাচনী বিরোধ নিষ্পত্তি করা এবং সাংসদদের আয়-ব্যয়ের হিসাব প্রকাশ করার সুপারিশ করা হয়েছে।জীবনের জলসাঘর থেকে বিদায় নিলেন মান্না দে। বাংলা গানকে তিনি নিয়ে গিয়েছিলেন অন্য উচ্চতায়। ভারতীয় সংগীতজগতের শীর্ষছোঁয়া এই কিংবদন্তি শিল্পীর প্রতি ‘আনন্দ’-এর শ্রদ্ধামান্না দেও চলে গেলেন। কী মাপের শিল্পী ছিলেন তিনি, আজ সেটি নতুন করে না বললেও চলে। কারও সঙ্গেই তাঁর তুলনা করা যাবে না। গলার মেলোডিটা একদম অন্য রকম। কী বলব, তাঁর একেকটা গান একেক ধরনের—কোনোটার সঙ্গে কোনোটার মিল নেই। তাই মাঝেমধ্যে আমার মনে হয়েছে, মান্না দের ভেতর হয়তো অলৌকিক কোনো ক্ষমতা ছিল।আমার স্মৃতিতে মান্না দে আছেন এক ভিন্ন মাত্রায়। কেন বললাম কথাটি? কারণ, আমি তো তাঁকে আজকে থেকে চিনি না; চিনি সেই তখন থেকে—যখন তিনি বাংলা গানের বরপুত্র হননি, যখন তাঁর গলায় কেউ শোনেনি বাংলা গান।১৯৫৫-৬০ সালের দিকে আমি এবং কমল দাশগুপ্ত সংসার পেতেছিলাম কলকাতার বেথুন রোডে। আমাদের বাড়ির খুব কাছেই ছিল মান্না বাবুর চাচা কৃষ্ণচন্দ্র দের বাড়ি। তিনি থাকতেন সেই বাড়িতে—চাচার কাছে থেকেই গান শিখেছেন। ফলে আমি প্রায়ই দূর থেকে দেখতাম তাঁকে। এর মধ্যে একদিন শুনলাম মান্না দের প্রথম বাংলা গানের রেকর্ড। কী অপূর্ব গায়কিতে তিনি গাইলেন ‘তির ভাঙা ঢেউ আর নীড় ভাঙা ঘর।’ গানটি শোনার পর কেন যেন আমার ভেতরে একধরনের অস্থিরতা তৈরি হলো। কমলকে বললাম, রেকর্ডে মান্না দের একটা গান শুনেছি। ওই রেকর্ডটি আমার কিনতে হবে। কমল তৎক্ষণাৎ রেকর্ডটি কিনে আনলেন। এরপর অনেকবার শুনেছি গানটি। শুনে শুনে মুখস্থ করে ফেলেছিলাম, মনে মনে গুনগুনও করতাম; কিন্তু মজার ব্যাপার হলো, মান্না দের কণ্ঠেই গানটি শুনতে বেশি ভালো লাগত।বাংলাদেশের শিল্পীদের মধ্যে বোধ হয় আমিই প্রথম মান্না দের সঙ্গে একত্রে অনুষ্ঠান করেছি। প্রথম অনুষ্ঠান শিলিগুড়িতে, সম্ভবত ১৯৭৯-৮০-এর দিকে। তারপর কলকাতার রবীন্দ্রসদন, কলামন্দির, নজরুলমঞ্চে আরও কত অনুষ্ঠান! তিন ঘণ্টার প্রতিটি অনুষ্ঠানে অর্ধেক সময় গাইতাম আমি বাকি অর্ধেক মান্না বাবু। এ সময় তাঁর সঙ্গে নানা অন্তরঙ্গ কথাবার্তা ও সৌহার্দ্য হয়েছিল। এত বড় মাপের শিল্পী তিনি, কিন্তু বিনয়ের কমতি ছিল না।একবার কলকাতার দেবদাস চলচ্চিত্রে নজরুলের ‘শাওন রাতে যদি’ গানটি প্লেব্যাক করার জন্য আমাকে অনুরোধ করা হলো। কারণ, এর মধ্যেই আমার গলায় দারুণ জনপ্রিয় হয়েছিল এ গান। তবে শিল্পীজীবনের প্রথম থেকেই আমার পণ, চলচ্চিত্রে গান করব না। তাই দেবদাস ছবিতে ওই গানটি নারী মুখের বদলে পুরুষের মুখে নিয়ে যাওয়া হলো—চুনিলালের মুখে এটি গাইলেন মান্না দে। এ গান নিয়ে সে সময় তিনি অসংখ্যবার কথা বলেছেন আমার সঙ্গে। কখনো বলেছেন, আপনার রেকর্ডটি শুনতে হবে। তারপর গান করব। আবার কখনো তাঁর কথা ছিল, ‘গানটি আপনি করলেই পারতেন। এটা অমর হয়ে থাকত। আপনার গলাটা কিন্তু ফিল্মেরই গলা।’—এ রকম বিনয় আমি খুব কম শিল্পীর মধ্যেই দেখেছি।আরেকটা ঘটনা বলি। নজরুলমঞ্চে আমার ও মান্না দের দ্বৈত গানের অনুষ্ঠান। আয়োজকদের আমি বললাম, অনুষ্ঠানের প্রথম অংশে আমি গাইতে চাই; আর চাই বিরতির পর দ্বিতীয় অংশে গান করুন মান্না দে। কেননা, তাঁর গান আমিও মনভরে শুনতে চাই। তো, আমার পরিবেশনার শেষে শ্রোতাদের আমি বললাম, এখন গান করবেন মান্না দে। ওমা, মুহূর্তেই শুরু হলো শোরগোল—সবাই আমাকে বলছে, আপনার কণ্ঠে ‘শাওন রাতে যদি’ শুনতে চাই। কিন্তু আমি তো তখন মান্না বাবুর গান শোনার জন্য অধীর। বললাম, এ গানটি আজ মান্না বাবুর গলায়ই শুনব। শ্রোতারা তবুও নারাজ। এর মধ্যে দেখি মঞ্চে উঠে এসেছেন মান্না দে। ‘“শাওন রাতে যদি” আজ আপনিই করুন’—আমার উদ্দেশে তাঁর এক টুকরো কথা।বললাম, আমি এখন শুধুই শ্রোতা, আপনার গান শুনব। অবশেষে আমার অনুরোধে সেদিন ‘শাওন রাতে যদি’ গেয়েছিলেন তিনি।তাঁর সঙ্গে আমার স্মৃতি তো অনিঃশেষ—একটার পর আরেকটা মনে পড়ে। মনে পড়ে, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর শিল্পকলা একাডেমীর পক্ষ থেকে সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় ও মান্না দেকে আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। এ সময় শিল্পীদের আনার ক্ষেত্রে আমার ভূমিকা ছিল মধ্যস্থতাকারীর। পরে অবশ্য মান্না বাবু অনেকবার বাংলাদেশে এসেছেন, তাঁর অপূর্ব গায়কিতে মুগ্ধ করেছেন আমাদের।মান্না দে ও আমি একই ঘরানার। তাঁর চাচা কৃষ্ণচন্দ্র দের কাছে সরগম শিখেছেন কমল। আর কমলের কাছে আমি। এই সূত্রে আমাদের মধ্যে অদৃশ্য এক রাখিবন্ধন তো আছেই। তাঁর গান আজও তন্ময় হয়ে শুনি। জানি না, আমার এ কথাগুলো আকাশের ওপার থেকে মান্না বাবু শুনতে পাবেন কি না, তবুও তাঁকে এখন বলতে ইচ্ছা করছে, ‘মান্না বাবু, আমি এখন শুধুই শ্রোতা, আপনার গান শুনব।’অনুলিখন: আলতাফ শাহনেওয়াজটানা চার দিনের অবরোধ শেষে অতিরিক্ত যানবাহনের চাপে বগুড়ায় ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে আজ শুক্রবার তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। সকাল নয়টা থেকে মহাস্থান বাজার এলাকায় মহাসড়কের দুই পাশে প্রায় ১০ কিলোমিটার জুড়ে যানবাহনের লম্বা লাইন সৃষ্টি হয়। তবে বেলা একটার দিকে ধীরগতিতে যানচলাচল শুরু হয়।ঘটনাস্থলে উপস্থিত এই প্রতিবেদক জানান, যানবাহনে চাপ বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মহাসড়কসংলগ্ন দেশের অন্যতম সবজির পাইকারি মোকাম বগুড়ার মহাস্থান বাজারে সবজির আমদানি মহাসড়ক পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। এতে সকাল নয়টা থেকে রাজধানী ঢাকার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে পড়ে। বাজারে আসা সবজিবোঝাই শত শত ভটভটি-ভ্যানের দখলে মহাসড়ক। এতে রংপুরগামী এবং ঢাকামুখী কোনো যানবাহনই মহাস্থান বাজার পারাপার হতে পারছে না। মহাসড়কের দুই পাশে ১০ কিলোমিটার এলাকায় আটকে পড়েছে  কয়েক শ যানবাহন।যানজটে আটকা পড়া সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক তুহিন মিয়া জানান, চার দিনের অবরোধে কামাই-রোজগার বন্ধ ছিল। খ্যাপ মারার জন্য ভোরে তিনি জয়পুরহাটের কালাই থেকে বগুড়ায় এসেছিলেন। সকাল নয়টা থেকে যাত্রী নিয়ে তিনি মহাস্থান বাজারের যানজটে আটকা পড়ে আছেন।হিলি থেকে পণ্যবাহী ট্রাক নিয়ে চট্টগ্রামগামী গাড়ির চালক গোলজার হোসেন জানান, সাড়ে নয়টা থেকে তিনি মহাস্থান বাজারের করতোয়া সেতুর উত্তরপাশে যানজটে আটকা পড়ে আছেন। যানজটের কারণে আড়াই ঘণ্টায় গাড়ির  চাকা এক হাতও নড়াতে পারেননি তিনি।হাইওয়ে পশ্চিমাঞ্চল পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আশরাফুজ্জামান বলেন, কয়েক দিনের অবরোধ শেষে মহাসড়কে যানবাহনের ঢল নেমেছে। এর সঙ্গে সকাল থেকেই মহাস্থান বাজারে সবজিবোঝাই বহু ভটভটি, অটোরিকশা, টেম্পো ও ভ্যান ঢুকে পড়ায় মহাসড়কে প্রচণ্ড যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। হাইওয়ে পুলিশের ১২ থেকে ১৫ জন সদস্য মহাসড়কে যানচলাচল স্বাভাবিক রাখার জন্য চেষ্টা চালিয়ে গেলেও সবজির বাজারের কারণে হিমশিম খেতে হচ্ছে।নির্বাচনী প্রচারণার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল মঙ্গলবার রংপুরে যাচ্ছেন। তাঁর এই সফরের প্রতিবাদে কাল রংপুরে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮-দলীয় জোট। জেলার আট উপজেলায় এই হরতাল পালন করার ঘোষণা দিয়েছে তারা।আজ সোমবার বিকেলে নগরের একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন রংপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সামসুজ্জামান ওরফে সামু।উল্লেখ্য, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রংপুর-৬ আসন (পীরগঞ্জ) থেকে নির্বাচন করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কাল দুপুরে পীরগঞ্জের খালাসপুর মাঠে তাঁর বক্তব্য দেওয়ার কথা।
প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে গোলসংখ্যায় বার্সেলোনার সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়ে গিয়েছিলেন আগেই। লিওনেল মেসি এবার গোলসংখ্যায় পেরিয়ে গেলেন রিয়াল মাদ্রিদের রাউলকেও। রিয়ালের ইতিহাসের সর্বোচ্চ গোলদাতা রাউল করেছিলেন ৩২৩ গোল। কাল আলমেরিয়ার বিপক্ষে মেসি করলেন ৩২৪ নম্বর গোলটি। রাউলের গোলগুলো এসেছিল ৭৪১ ম্যাচে। মেসির লাগল মাত্র ৩৮৮টি ম্যাচ! সত্যিই অবিশ্বাস্য!এটি হয়তো রেকর্ড হিসেবে বিবেচিত হবে না। তবে কালকের গোলটি দুটো রেকর্ডের পাতায় বসিয়ে দিয়েছে মেসির নাম। স্প্যানিশ লিগের ইতিহাসে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে অ্যাওয়ে ম্যাচের গোলসংখ্যায় মেসি পেরিয়ে গেলেন এক শ গোলের মাইলফলক। কালকের গোলটি লিগে প্রতিপক্ষের মাঠে মেসির ১০১তম গোল। মেসি আগেই ভেঙে দিয়েছেন রিয়াল কিংবদন্তি হুগো সানচেজের করা অ্যাওয়ে ম্যাচে ৯৯ গোলের রেকর্ড। লিগে তাঁর মোট গোলের প্রায় অর্ধেক মেসি করেছেন প্রতিপক্ষের মাঠে। এখান থেকেই বোঝা যায় মেসির কৃতিত্বটা। শুধু নিজের মাঠেই নয়, প্রতিপক্ষের মাঠেও মেসি একই রকম গোলমেশিন।বার্সার হয়ে মেসির ৩২৪ গোলের ২২৩টি এসেছে লিগে। বার্সেলোনার হয়ে লিগে সর্বোচ্চ গোল করার রেকর্ড এটি। ১৯৩৯ থেকে ১৯৫৫ পর্যন্ত বার্সার হয়ে খেলা সিজার রদ্রিগেজের গোলও ২২৩টি। এখন রেকর্ডটি ভাগাভাগি করতে হলেও কয়েক দিনের মধ্যেই মেসি যে বার্সার হয়ে লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়ে যাচ্ছেন, সেটি বলাই বাহুল্য।বার্সার হয়ে লা লিগার সর্বোচ্চ গোলদাতা হলেও সব স্প্যানিশ লিগের ইতিহাসে সর্বোচ্চ গোলদাতা হতে আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে মেসিকে। এই তালিকায় মেসি এখন আছেন পাঁচে। ২৫১ গোল নিয়ে রেকর্ডটি অ্যাথলেটিক বিলবাওয়ের কিংবদন্তি তেলমো জারার দখলে।মেসি মাত্র ২৮ গোল পেছনে। নিশ্চিতভাবেই রেকর্ডটি হাতছানি দিচ্ছে তাঁকে। মেসিকে হাতছানি দিচ্ছে আরেকটি রেকর্ড। চ্যাম্পিয়নস লিগে রাউলের ৭১ গোলের জবাবে মেসির গোলসংখ্যা ৬২। খুব তাড়াতাড়িই হয়তো মেসি এই জায়গাতেও রাউলকে ছাড়িয়ে যাবেন।এ যুগের ফুটবল জাদুকর কোথায় গিয়ে থামবেন কে জানে!কালকের জয়টি বার্সার কোচ হিসেবে অভিষিক্ত জেরার্ডো মার্টিনোর জন্যও অন্য রকম একটি রেকর্ড। লিগে শুরু থেকে টানা সাত ম্যাচে জিতেছে বার্সা। ক্লাব ইতিহাসে এটাই বার্সার সবচেয়ে ভালো শুরু। গত মৌসুমে লিগে রেকর্ড ১০০ পয়েন্ট এনে দিয়ে বার্সাকে শিরোপা জিতিয়েছিলেন টিটো ভিলানোভা। কিন্তু তিনিও প্রথম সাতটি ম্যাচ জেতাতে পারেননি। সপ্তম ম্যাচেই ড্র করেছিল বার্সা।বিনয়ী মার্টিনো অবশ্য সরল স্বীকারোক্তির মতো বললেন, এতে তাঁর কোনো কৃতিত্ব নেই, ‘এই খেলোয়াড়রা যা অর্জন করেছে তারই ফায়দা আমি নিয়েছি। এরা তো বছরের পর বছর ধরে রেকর্ড ভেঙে চলেছে। আমরাটা নেহাতই সেই ঘটনাক্রমেই ঘটে যাওয়া একটি রেকর্ড।’৪/১১/২০১৩, সোমবার(সকাল ১০ টা—বেলা ১ টা)বাংলা ১ম পত্র(নম্বর-১০০)৬/১১/২০১৩, বুধবার(সকাল ১০ টা—বেলা ১২ টা)বাংলা ২য় পত্র(নম্বর-৫০)৭/১১/২০১৩, বৃহস্পতিবার(সকাল ১০ টা—বেলা ১ টা)ইংরেজি ১ম পত্র(নম্বর-১০০)১০/১১/২০১৩, রোববার(সকাল ১০ টা—বেলা ১২ টা)ইংরেজি ২য় পত্র(নম্বর-৫০)১১/১১/২০১৩, সোমবার(সকাল ১০ টা—বেলা ১ টা)বিজ্ঞান/ সাধারণ বিজ্ঞান  (নম্বর-১০০)১২/১১/২০১৩, মঙ্গলবার(সকাল ১০ টা—বেলা ১ টা)ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা(নম্বর-১০০)১৩/১১/২০১৩, বুধবার(সকাল ১০ টা—বেলা ১২ টা)শারীরিক শিক্ষা ও স্বাস্থ্য(নম্বর-৫০)১৭/১১/২০১৩, রোববার(সকাল ১০ টা—বেলা ১ টা)গণিত/ সাধারণ শিক্ষা(নম্বর-১০০)১৮/১১/২০১৩, সোমবার(সকাল ১০ টা—বেলা ১ টা)বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়(নম্বর-১০০)১৯/১১/২০১৩, মঙ্গলবার(সকাল ১০ টা—বেলা ১ টা)কৃষিশিক্ষা/আরবিগার্হস্থ্য বিজ্ঞান/সংস্কৃত গার্হস্থ্য অর্থনীতি/পালি(নম্বর-১০০)২০/১১/২০১৩, বুধবার(বিকাল ২ টা—৪.৩০ টা)চারু ও কারুকলা(নম্বর-৫০)জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ দলের প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র দাখিল করে তাঁর ‘সিগন্যালের’ জন্য অপেক্ষা করতে বলেছেন। তিনি বলেন, ‘মনোনয়নপত্র দাখিল করে আমার নির্দেশের জন্য অপেক্ষা করবে। যদি মনে করি নির্বাচন সুষ্ঠু হবে, তোমরা নির্বাচনে যাবে।’আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীর গুলশানের একটি মিলনায়তনে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থীদের সঙ্গে এক মতবিনিময় অনুষ্ঠানে এরশাদ এ কথা বলেন।এত দিন এরশাদ নির্বাচন হবে কি না, তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে আসছিলেন। বলেছিলেন জাতীয় পার্টি নির্বাচন করলে নির্বাচন হবে, না করলে হবে না। গত কয়েক দিন থেকে এরশাদ বলে বেড়াচ্ছেন সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ নেই।সুষ্ঠু নির্বাচন হবে কি না, তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘সুষ্ঠু পরিবেশ না থাকলে নির্বাচন করা সম্ভব হবে না। আমরা নির্বাচনের জন্য এক শ ভাগ প্রস্তুত আছি। নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করুন। মানুষ মারা, জ্বালাও-পোড়াও বন্ধ করুন। আমি আমার প্রার্থীদের বোমা হামলার মুখে ঠেলে দিতে পারি না। এঁরা আমার সন্তান।’প্রধান বিরোধী দল বিএনপিকে উদ্দেশ করে এরশাদ আবারও বলেন, যেকোনো পরিস্থিতি হোক, নির্বাচনে আসতে পারতেন। তিনি আক্ষেপের সুরে বলেন, ‘নির্বাচনে কেন আসলেন না। কী সুযোগ না ছিল এ সরকারের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করার।’ তিনি বলেন, ‘এখনো সুযোগ আছে, আসুন, সবাই মিলে নির্বাচন করি, এ সরকারের দুঃশাসন থেকে মানুষ মুক্তি পাক। মানুষের মুখে হাসি ফুটুক, অনিশ্চয়তা দূর হয়ে যাক।’সভায় জানানো হয়, দশম সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে এক হাজার ৪৯৮ জন জাপার মনোনয়ন ফরম কিনেছেন। এর মধ্যে ৭২৮ জনকে প্রাথমিকভাবে বাছাই করা হয়েছে। চূড়ান্তভাবে মনোনীত প্রার্থীদের আজকের মধ্যে মুঠোফোনে খুদেবার্তার মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে। বার্তা পাওয়া প্রার্থীদের দলীয় ফরম সংগ্রহ করতে বলা হয়েছে।মতবিনিময় সভায় জাপার মহসচিব এ বি এম রুহুল আমীন হাওলাদার, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য রওশন এরশাদ, কাজী ফিরোজ রশীদ, জিয়াউদ্দিন আহমদ, মোস্তাফা জামাল হায়দারসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।বাংলাদেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা যত বাড়ছে, ভারত তত বেশি করে চাইছে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি সমঝোতায় পৌঁছাতে।ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সালমান খুরশিদ ‘দ্য হিন্দু’কে বলেন, ‘আমরা তৃতীয় কোনো রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া নিয়ে কথা বলতে আগ্রহী নয়। কিন্তু কিছু অভ্যন্তরীণ প্রতিষ্ঠানকে ঘিরে বাংলাদেশ সরকারের কর্মকাণ্ড বিচার-বিশ্লেষণে তাদের (ওয়াশিটনের) দৃষ্টিভঙ্গি নিশ্চিতভাবে আমাদের (দিল্লির) থেকে ভিন্ন। ওয়াশিংটনে থাকার সময় আমি এটা লক্ষ্য করেছিলাম।’ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মতপার্থক্য কমানোর জন্য ভারতীয় কর্তৃপক্ষ বেশ কিছুদিন ধরে কাজ করছে।সালমান খুরশিদ বলেন, বাংলাদেশ নিয়ে ভারতের বোঝাপড়াটা বুঝতে পারলে আমেরিকারই লাভ হবে। তিনি বলেন, ‘ভৌগোলিকভাবে আমেরিকার চেয়ে ভারত বাংলাদেশের বেশি কাছে অবস্থান করে। সুতরাং, এ অঞ্চল ও মানুষের অনুভূতি সম্পর্কে আমাদের অভিজ্ঞতা যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ নেওয়ার ক্ষেত্রে সহায়ক হবে।’বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে প্রধান বিরোধী দল বর্জন করার পর থেকে দেশের অভ্যন্তরে সহিংসতার পরিমাণ বেড়ে গেছে। তা ছাড়া জামায়াতে ইসলামীর এক নেতার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার পর এবং বাকি নেতাদের মামলার রায়ের পর সহিংসতার পরিমাণ বেড়ে গেছে।বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচনকালীন সর্বদলীয় সরকারের প্রস্তাব করলেও প্রধান বিরোধী দলের নেত্রী তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এই সম্পর্কে সালমান খুরশিদ বলেন, বাংলাদেশের অবস্থান অবশ্যই অত্যন্ত নাজুক ও অস্থির। সরকার ও প্রধান বিরোধী দল কীভাবে নির্বাচন-প্রক্রিয়াটি এগিয়ে নেবে, সে ব্যাপারে মতৈক্যে পৌঁছাতে পারছেন না।বাংলাদেশের নির্বাচনকেন্দ্রিক জটিলতা নিয়ে ভারত বিশেষভাবে উদ্বিগ্ন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের বন্ধু রাষ্ট্রের নির্বাচনে যা-ই ঘটুক, আমরা কারও পক্ষ নিতে পারি না। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে চালিয়ে যেতে হবে এবং এই প্রক্রিয়াকে নস্যাত্কারী সহিংসতাকে প্রতিরোধ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হতে হবে।’
এ বছর বিশ্বসুন্দরীর শিরোপা মাথায় তুললেন ফিলিপাইনের মেগান ইয়ং। প্রথম ও দ্বিতীয় রানার আপ হয়েছেন যথাক্রমে ফ্রান্সের মেরিন লরফেলিন ও ঘানার ক্যারেঞ্জার না ওকেলি শুটার।ইন্দোনেশিয়ার বালি নাসা দুয়া কনভেনশন সেন্টারে গতকাল শনিবার কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে মিস ওয়ার্ল্ড ২০১৩-এর জমকালো অনুষ্ঠান। এ বছর বিশ্বসুন্দরী প্রতিযোগিতায় ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেছেন নবনীত কর। আশানুরূপ সাফল্য না পেলেও সেরা বিশের মধ্যে জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। এক খবরে এ তথ্য জানিয়েছে ‘টাইমস অব ইন্ডিয়া’।বিশ্বসুন্দরী খেতাব পাওয়ার পর অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে মেগান ইয়ং বলেন, ‘আনন্দ প্রকাশের ভাষা হারিয়ে ফেলেছি আমি। বিশ্বসুন্দরী হিসেবে আমাকে নির্বাচিত করায় সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। কথা দিচ্ছি, এ-যাবত্কালের সেরা বিশ্বসুন্দরী হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করব আমি।’মান্নাদাকে বাবার মতো শ্রদ্ধা করতাম। তিনিও আমাকে কন্যার মতো ভালোবাসতেন, আদর করতেন। মান্নাদা বরাবরই ক্লাসিক্যাল গান বেশি পছন্দ করতেন। আমারও তা পছন্দ ছিল। সেই কারণে মান্নাদার প্রিয়পাত্র হয়ে উঠেছিলাম। তাঁর অনেক গান গেয়েছি। দ্বৈতকণ্ঠেও গান গেয়েছি। তাঁর সুরারোপিত বহু গান গেয়েছি। একবার আমার সুর করা একটি গানেও কণ্ঠ দিয়েছিলেন তিনি। এখনো আমার স্মৃতিতে ভেসে উঠছে অতীত দিনের নানা কথা।১৯৭২ সালের কথা। হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে দিল্লিতে গিয়েছিলাম একটি অনুষ্ঠানে। তখনই প্রথম পরিচয় হয় মান্না দের সঙ্গে। তখন থেকেই মান্নাদার ভক্ত হয়ে যাই। পাই তাঁর আশীর্বাদ।মান্নাদা ছিলেন বিরাট মাপের শিল্পী। সংগীতের মহিরুহ। তার গভীরতা পরিমাপ করা যায় না। ছিলেন বড় হূদয়ের মানুষ। মানুষকে কাছে টেনে নেওয়ার এক অদ্ভুত ক্ষমতা ছিল তাঁর।মান্নাদা তাঁর সংগীতজীবনের অধিকাংশ সময় মুম্বাইয়ে কাটিয়েছেন। কিন্তু এক মুহুর্তের জন্যও ভুলতে পারেননি কলকাতাকে। কলকাতায় তাঁর জন্ম। কলকাতায় বেড়ে ওঠা। সংগীতের হাতেখড়ি। তাই মুম্বাইয়ে থাকলেও মন পড়ে থাকত কলকাতায়। ডাক পেলেই আসতেন। আমার বাসায়ও এসেছেন। কী ভালো মানুষ ছিলেন তিনি!মান্নাদা ছিলেন মনেপ্রাণে একজন খাঁটি বাঙালি। বাংলায় কথা বলা বা বাঙালির খাবার তাঁর দারুণ পছন্দ ছিল। কলকাতায় এলেই ডুবে থাকতেন বাঙালি খাবারে। পছন্দও করতেন বাঙালি বেশভূষা।মান্নাদা বহু ভাষায় গান গেয়েছেন। কিন্তু তিনি যে ভাষায়ই গান করেছেন, ওই ভাষার শ্রোতারা কখনো বুঝতে পারেননি তিনি একজন বাঙালি শিল্পী। যখন যে ভাষায় গান গেয়েছেন, তখন যেন তিনি বনে গেছেন সেই ভাষারই একজন শিল্পী।বৌদিও (মান্না দের সহধর্মিণী, সুলোচনা কুমারন) মান্না দের সাহচর্যে এসে দারুণ বাংলা শিখেছিলেন। তিনি স্বচ্ছন্দে বাংলায় কথা বলতেন। ভালো রবীন্দ্রসংগীত গাইতেন। তিনি ছিলেন কেরালার মানুষ, জীবনের বেশির ভাগ সময় ছিলেন মুম্বাইয়ে।আজ মান্নাদা নেই। সব কিছুই ফাঁকা লাগছে। সারা মনজুড়ে তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে তাঁর নানা স্মৃতি। মান্নাদা একসময় কলকাতায় একটি সংগীত একাডেমি গড়তে চেয়েছিলেন। কিন্তু তা আর করা হলো না।মৃত্যুর পর মান্নাদার মরদেহ কলকাতায় এনে তাঁর প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানানোর উদ্যোগ নেওয়া হলেও তা আর তাঁর পরিবারের আপত্তিতে হয়ে ওঠেনি। মান্নাদাকে শেষ দেখা দেখতে পারল না কলকাতাবাসী। জানাতে পারল না শেষ শ্রদ্ধা। দিতে পারল না তাঁর নশ্বর দেহে ফুল-মালা। এ দুঃখ, এ লজ্জা ঢাকব কী করে?গাজীপুরের সদর উপজেলার কোনাবাড়ির জরুন এলাকায় স্ট্যান্ডার্ড গ্রুপের একটি পোশাক কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। কারখানার ক্ষুব্ধ শ্রমিকেরা আগুন লাগিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে এ আগুন লাগে। আজ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আগুন পুরোপুরি নেভানো সম্ভব হয়নি। ফায়ার সার্ভিসের ১৪টি ইউনিট আগুন নেভানোর চেষ্টা করছে।ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন) মেজর মো. মাহবুব প্রথম আলো ডটকমকে জানান, পোশাক কারখানার একটি ১০ তলা ভবনের তিনতলায় আগুন লাগে। পরে তা পুরো ভবনে ছড়িয়ে পড়ে। পাশে কারখানার ছয়তলা আরেকটি ভবনেও আগুন লেগেছে। খবর পেয়ে জয়দেবপুর, কালিয়াকৈর, টঙ্গী, সাভার ও সদর দপ্তরসহ ফায়ার সার্ভিসের ১৪টি ইউনিটের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভানোর চেষ্টা করছেন। স্থানীয় লোকজন আগুন নেভানোর কাজে সহযোগিতা করছেন। হতাহতের খবর এখনো পাওয়া যায়নি। আগুনে ভবনের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা বেশ কয়েকটি গাড়ি পুড়ে গেছে।গাজীপুর শিল্পাঞ্চল পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার মো. মোশাররফ হোসেন জানান, মজুরিসহ বিভিন্ন দাবিতে কিছুদিন ধরে কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে শ্রমিকদের বিরোধ চলছিল। এর জের ধরে শ্রমিকেরা অগ্নিসংযোগ করেছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।কারখানার মহাব্যবস্থাপক নূরে আলম জানান, আগুন এখনো জ্বলছে। তাঁর ভাষ্য, বহিরাগত শ্রমিকেরা কারখানার ভেতরে ১৬-১৭টি গাড়িতে আগুন দিয়েছেন। স্থানীয় বাসিন্দা মো. সোলাইমানের ভাষ্য, ১৭ নভেম্বর বিকেল পাঁচটার দিকে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকেরা স্ট্যান্ডার্ড কারখানার পাশে জরুন রোডের ছোট-বড় অর্ধশতাধিক দোকানপাট ভাঙচুর ও লুটপাট করেন। তাঁরা স্থানীয় ব্যবসায়ী মো. কাউসারের বাড়িসহ আশপাশের আরও তিনটি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন। এতে কমপক্ষে ৬০টির মতো ঘর পুড়ে যায়।গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. মহসীনকে প্রধান করে সাত সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। মো. মহসীন জানান, এ কমিটি আগামী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেবে।পল ওয়াকারগাড়ি, দ্রুতগতি, রোমাঞ্চ আর পল ওয়াকার যেন সমার্থক ছিলেন। যাঁরা দ্রুতগতির গাড়ি আর রোমাঞ্চকর ছবির খোঁজখবর রাখেন, পল ওয়াকারকে না চেনার কথা নয়। ‘ফাস্ট অ্যান্ড ফিউরিয়াস’ চলচ্চিত্রের ব্রায়ান ও’কনর চরিত্রটির মাধ্যমে পল সেই টানটান উত্তেজনার রোমাঞ্চই ফুটিয়ে তুলেছিলেন। দুঃখজনক বিষয়টি হলো শেষপর্যন্ত সেই দ্রুতগতির রোমাঞ্চ আর গাড়িপ্রীতির কারণেই প্রাণ হারালেন এই মার্কিন অভিনেতা। মৃত্যুর আগে তাঁর শেষ কথাটিও ছিল, ‘লেটস গো ফর আ ড্রাইভ’....বিস্তারিত
নাচ-গান-অভিনয়, নাটক পরিচালনাসহ সংস্কৃতির অনেক মাধ্যমেই পদচারণ ঈশিতার। এবার নতুন আরেকটি পরিচয়ে দর্শক ও ভক্তদের সামনে হাজির হচ্ছেন তিনি। সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করলেন ঈশিতা। ইভা রহমানের পরিকল্পনায় এটিএন বাংলার জন্য নির্মিত নাচবিষয়ক এ অনুষ্ঠানের নাম ‘কিছু ছন্দ কিছু গান’।এ প্রসঙ্গে ঈশিতা বলেন, ‘উপস্থাপনার কাজটি করে অনেক ভালো লেগেছে। ছোটবেলা থেকেই নাচের প্রতি আমার বিশেষ দুর্বলতা। ‘‘কিছু ছন্দ কিছু গান’’ অনুষ্ঠানটি নাচবিষয়ক হওয়ায় আরও বেশি ভালো লেগেছে।’ঈদুল আজহার বিশেষ অনুষ্ঠানমালায় প্রচারিত হবে ‘কিছু ছন্দ কিছু গান’। শম্পা মাহমুদ প্রযোজিত অনুষ্ঠানটির নৃত্যপরিচালক কবিরুল ইসলাম রতন। এতে নাচবেন নাদিয়া, লিখন, শখ, উপমা, জ্যোতি, আসাদ, শাওন, মিলন, ফরহাদ, সৌরভ, সুতপা, শতাব্দী প্রমুখ।বলিউডের আইটেম গানে বিদেশি মডেলদের কোমর দোলানো এই প্রথম নয়। ব্র্রিটিশ মডেল-অভিনেত্রী হ্যাজেল ক্রাউনি তো এদিক দিয়ে বলিউডের নিয়মিত অতিথি হয়ে উঠেছেন। এর আগে এ রকম বেশ কটি গানে অংশ নেওয়া হ্যাজেল এবার সুভাষ ঘাইয়ের নতুন ছবি কাঞ্চির আইটেম গানেও অংশ নিলেন।গানটির কোরিওগ্রাফ করেছেন গণেশ আচার্য। হ্যাজেলের পোশাক বানিয়ে দিচ্ছেন নীতা লুল্লা। হ্যাজেল বলেছেন, ‘এই গানের জন্য আমাকে নির্বাচন করায় নিজেকে সৌভাগ্যবতী মনে হচ্ছে। সুভাষ ঘাইয়ের সঙ্গে কাজ করতে পারা আমার জীবনের সেরা অভিজ্ঞতা।’ আইএএনএস।কারিনা কাপুর খান নিজের বিয়েটা সেরে ফেলেছেন আগেই, তবে এবার তাঁর মাথায় রয়েছে চাচাতো ভাই রণবীরের বিয়ের বিষয়টি। রণবীরের পাত্রী আর কে হবেন? কারিনার পছন্দ রণবীরের প্রেমিকা ক্যাটরিনাই। জি নিউজের এক খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।ক্যাটরিনা সম্প্রতি রণবীর কাপুরকে বলেছেন, রণবীরের বিয়েতে পরার জন্য লেহেঙ্গা প্রস্তুত করে রেখেছেন তিনি। এমনকি ‘শিলা কি জাওয়ানি’ ও ‘চিকনি চামেলি’ গানের সঙ্গে বিয়েতে নাচার জন্য প্রস্তুতিও নিচ্ছেন।যে গান দুটির প্রসঙ্গ টেনেছেন কারিনা, সে দুইটি গানের সঙ্গে চলচ্চিত্রে দেখা গেছে ক্যাটরিনাকে। তাই কারিনা যে রণবীরের পাত্রী হিসেবে ক্যাটকেই পছন্দ করেছেন তা ওপেন ম্যাগাজিনের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। তবে কারিনা স্রেফ মজা করে এ কথা বলেছেন, নাকি সত্যি সত্যি ক্যাট-রণবীরকে বিয়ে দিতে যাচ্ছেন, তা জানার জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে।সম্প্রতি করণ জোহরের উপস্থাপনায় টেলিভিশন প্রোগ্রাম ‘কফি উইথ করণ’-এ উপস্থিত হয়েছিলেন তাঁরা। কারিনা আর রণবীরের একসঙ্গে আলাপের সময় বিয়ের প্রসঙ্গ তো আসবেই!বছরের অন্যতম আলোচিত বলিউডের ছবি ‘ধুম ৩’ মুক্তি পাবে ২০ ডিসেম্বর। কিন্তু মুক্তির আগেই যশরাজ ফিল্মসের এ ছবিটি অবৈধভাবে প্রদর্শন করছে ভারতের বেশ কয়েকটি ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ও কেবল অপারেটর। এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সোমবার অবৈধভাবে ছবিটির প্রদর্শনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন দিল্লি হাইকোর্ট...বিস্তারিত
প্রথম ছয় ম্যাচের তিনটিতেই হার। একটিতে আবার ড্র। মাত্র ৭ পয়েন্ট নিয়ে জায়গা হয়েছে পয়েন্ট তালিকার ১২ নম্বরে।পয়েন্ট তালিকার দিকে তাকিয়ে নিশ্চয়ই একটা দীর্ঘশ্বাস বের হয়ে আসছে অ্যালেক্স ফার্গুসনের। তাঁর রেখে যাওয়া দলের এ কী অবস্থা!লিগের শুরুতে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের এমন খোঁড়ানোর দৃশ্য এখনকার সমর্থকেরা তো বটেই, দেখেননি দলের পোড় খাওয়া অনেক মাঝবয়সী সমর্থকও। এমন বাজে শুরুর সর্বশেষ ঘটনা যে ২৪ বছর আগে, যখন প্রচণ্ড ঝড়ে টালমাটাল জাহাজ ইউনাইটেডের হাল মাত্রই শক্ত হাতে ধরেছিলেন ফার্গুসন। শুরুর সেই ব্যর্থতা দ্রুতই মুছে ফেলে ফার্গুসন ইউনাইটেডকে শুধু ইংল্যান্ড নয়, ইউরোপেরই সেরা ক্লাবগুলোর একটি বানিয়েছেন। উত্তরসূরি ময়েসও কি পারবেন শুরুর ব্যর্থতা দ্রুত মুছে ফেলতে?সে তো সময়ই বলে দেবে। তবে আপাতত এভারটনের সাবেক এই কোচ যে খুবই কঠিন সময় পার করছেন, সেটা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই। ম্যানচেস্টার ডার্বিতে নগর প্রতিদ্বন্দ্বীদের কাছে ৪-১ গোলে লজ্জাজনক হারের পর বেশ কোণঠাসা অবস্থার মধ্যেই পড়েছিল রেড ডেভিলরা। লিগ কাপে লিভারপুলকে ১-০ গোলে হারিয়ে কেবলই চেষ্টা করছিল সেই শোকটা ভোলার। কিন্তু গতকাল প্রিমিয়ার লিগে যে কাণ্ডটি ঘটল, তারপর নিশ্চয়ই নতুন করে শোক আর ক্ষোভের মিলিত স্রোত আছড়ে পড়ছে ওল্ড ট্রাফোর্ড। ওয়েস্ট ব্রমের মতো দুর্বল প্রতিপক্ষের কাছে হার, সেটিও কিনা নিজেদের মাঠে! যে ওয়েস্ট ব্রোম ওল্ড ট্রাফোর্ডে সর্বশেষ জিতেছিল সেই ১৯৭৮ সালে!ইংল্যান্ডের শীর্ষ লিগের চ্যাম্পিয়নদের পরবর্তী মৌসুমের শুরুর ছয় ম্যাচের তিনটাতেই হেরে যাওয়ার ঘটনাও খুবই বিরল। সর্বশেষ ১৯৯৫-৯৬ মৌসুমে লজ্জার যে অভিজ্ঞতা হয়েছিল ব্ল্যাকবার্ন রোভার্সের, তারও আগে এমন অভিজ্ঞতার কাঁটা বিছানো পথে হেঁটেছে লিডস ইউনাইটেড, ১৯৭৪-৭৫ মৌসুমে।এসব পরিসংখ্যান, রেকর্ড ময়েসের জ্বালা কেবলই বাড়াচ্ছে। তবে পেশাদার ফুটবলে শোকের আয়ু মাত্র কয়েক সেকেন্ডের। কারণ, বিগত পরাজয়ের ক্ষত চেপে রেখেই মনোযোগ দিতে হয় পরের ম্যাচে। ইউনাইটেডকেও যেমন আগামী বুধবারই চ্যাম্পিয়নস লিগের ম্যাচে মাঠে নামতে হবে শাখতার দোনেেস্কর বিপক্ষে। ময়েসের নজরও এখন ইউরোপসেরার লড়াইয়ের দিকেই, ‘আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। সামনের ম্যাচগুলোর দিকে তাকাতে হবে। এখনো অনেক খেলা আছে। আর আপনাকে পরবর্তী ম্যাচটার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।’ফার্গুসনের উত্তরসূরি মনে করছেন, চ্যাম্পিয়নস লিগ জয় করার মতো শক্তি এবার ইউনাইটেডের নেই। নিজের দলের সঙ্গে বার্সেলোনা, রিয়াল কিংবা বায়ার্ন মিউনিখের কোনো তুলনায় যেতে চান না ময়েস, ‘এই দলগুলো অনেক শক্তিশালী। শক্তিতে এদের ধারে-কাছেও নেই ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। তাই এবার চ্যাম্পিয়নস লিগ নিয়ে ভেবে কোনো লাভ নেই। ইউরোপ-সেরা হওয়ার এই প্রতিযোগিতায় ইউনাইটেডের খুব ভালো করার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।’ময়েস যা-ই বলুন না কেন, চ্যাম্পিয়নস লিগের এবারের আসরে ইউনাইটেডের শুরুটা কিন্তু দারুণই হয়েছে। লেভারকুসেনকে ৪-২ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগে ‘রেড ডেভিল’রা প্রথম দিনেই করেছে বাজিমাত। তার পরও ময়েস মনে করেন, শুরুটা ভালো হলেও ইউনাইটেড এবার ইউরোপের সেরা দলগুলোর বিপক্ষে যথেষ্টই ভুগবে।শুনতে হতাশাবাদী মনে হলেও যুক্তি দিয়ে ময়েস বুঝিয়ে দিয়েছেন, ‘ইউরোপ-সেরা হতে গেলে একটা দলে পাঁচ থেকে ছয়জন বিশ্ব মানের খেলোয়াড় দরকার। এবার ইউনাইটেডে তা নেই।’তাই বলে কি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কিছুই নেই! ময়েস অবশ্য তেমনটি বলতে চাননি, ‘ইউনাইটেডের কিছুই নেই, তা বলব না। আমাদের বেশ কয়েকজন খেলোয়াড় দারুণ অভিজ্ঞ। অনেকেই বিশ্বমানের কাছাকাছি খেলোয়াড়। তবে পুরোপুরি নয়। আমি আসলে বলতে চাই, ইউনাইটেড ভালো দল হলেও বার্সেলোনা, রিয়াল মাদ্রিদ কিংবা বায়ার্ন মিউনিখের মতো ভালো নয়।’পোশাকশ্রমিক আকলিমা আকতার লিউকোমিয়ায় আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘদিন ধরে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসা চলছে তাঁর।ইতিমধ্যে তাঁর দরিদ্র বাবা ভ্যানচালক আবুল হোসেন মেয়ের চিকিৎসার জন্য সহায় সম্বল বিক্রি করে নিঃস্ব হয়েছেন। বর্তমানে পরিবারের কর্মক্ষম মেয়েকে বাঁচাতে রক্ত ও চিকিৎসার জন্য তিনি বিত্তশালী ও হূদয়বান ব্যক্তিদের কাছে সাহায্য চান। আকলিমার রক্তের গ্রুপ ০+(ও পজিটিভ)।সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা: মো. আবুল হোসেন, জলিল সওদাগরের বাড়ি, রাহাত্তর পুল, পূর্ব বাকলিয়া, চট্টগ্রাম।সঞ্চয়ী হিসাব নম্বর-২০৫০১০৬০২০-১৩৯২৪-১৪, ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড, খাতুনগঞ্জ শাখা, চট্টগ্রাম।সেইলফিশ অপারেটিং সিস্টেম নিয়ে ‘ইয়োলা’ নামের একটি স্মার্টফোন ফিনল্যান্ডের বাজারে উন্মুক্ত করেছে নকিয়ার সাবেক কর্মীদের একটি প্রতিষ্ঠান। এক খবরে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি অনলাইন। নতুন স্মার্টফোন বাজারে আনার মাধ্যমে যাত্রা শুরু করল নতুন নকিয়ার সাবেক কর্মীদের তৈরি ‘ইয়োলা’ নামের প্রতিষ্ঠানটির তৈরি সেইলফিশ অপারেটিং সিস্টেম।ইয়োলার তৈরি নতুন এ ওএসে গুগলের তৈরি মোবাইল ফোনের মুক্ত ওএস অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপস ব্যবহার করা যাবে। অর্থাত্ সেইলফিসচালিত স্মার্টফোনের ব্যবহারকারীরা অ্যান্ড্রয়েডের সব ধরনের অ্যাপস ব্যবহার করতে পারবেন খুব সহজেই। নতুন এ অপারেটিং সিস্টেমে চালিত প্রথম স্মার্টফোনটির নামও রাখা হয়েছে ‘ইয়োলা’। ফিনল্যান্ডের বাজারে প্রথমত ৪৫০টি স্মার্টফোন উন্মুক্ত করছে প্রতিষ্ঠানটি। শিগগিরই বাজারে যথেষ্ট পরিমাণ স্মার্টফোন সরবরাহের কথা জানিয়েছেন ইয়োলার সহ-প্রতিষ্ঠাতা মার্ক ডিলন। বিশ্বের ১৩৬টি দেশে ‘ইয়োলা’ স্মার্টফোন বিক্রির পরিকল্পনা করেছে প্রতিষ্ঠানটি।‘ইয়োলা’ স্মার্টফোনটিতে নানা সুবিধার মধ্যে রয়েছে ৪.৫ এইচডি পর্দা, ডুয়াল কোর প্রসেসর, মাইক্রো এসডি কার্ড সমর্থন। এই স্মার্টফোনটিতে আট মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা রয়েছে।অ্যাপল, গুগল আর উইন্ডোজ প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে নকিয়ার পুরোনো মিগো প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে তৈরি সেইলফিশ তীব্র প্রতিযোগিতার মুখে পড়বে বলে বাজার বিশ্লেষকেরা ধারণা করছেন। ‘ফাস্ট অ্যান্ড ফিউরিয়াস ৭’ ছবির গুরুত্বপূর্ণ ব্রায়ান ও’কনার চরিত্রে অভিনয় শেষ করার আগেই মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় গত ৩০ নভেম্বর নিহত হন অভিনেতা পল ওয়াকার। তাঁর মৃত্যুতে ছবিটির মুক্তির তারিখ নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা...বিস্তারিত
নর্দার্ন জুট ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি লিমিটেডের শেয়ার লেনদেন বন্ধ করে দিয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) কর্তৃপক্ষ। আজ রোববার লেনদেন শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার লেনদেন বন্ধ করা হয়। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।আজ ডিএসইর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়, ‘নর্দার্ন জুটের শেয়ারের দাম অস্বাভাবিক বৃদ্ধির কারণে দিনের বাকি সময়ের জন্য প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার লেনদেন বন্ধ করা হলো।’ডিএসই সূত্রে জানা যায়, আজ লেনদেনের শুরুতেই প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারের দাম ৩.১০ টাকা বা ৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ বেড়ে যায়। এদিকে সাম্প্রতিক সময়ে এই প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পায়। ১২ সেপ্টেম্বর প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারের দাম ছিল ১৬.১০ টাকা। আজ সর্বশেষ দাম দাঁড়িয়েছে ৩৪.২০ টাকায়। সাম্প্রতিক দাম বাড়ার এই বিষয়টি ডিএসইর নজরে আসায় আজ লেনদেন বন্ধ করে দেওয়া হয়।অনেক অনেক কালজয়ী গান করেছেন মান্না দে। এগুলোর মধ্য থেকে কিছু মনোহরণকারী গানের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছি আপনাদের১. আজ আবার সেই পথে দেখা হয়ে গেলকথা: পুলক বন্দ্যোপাধ্যায়, সুর: মান্না দে২. আবার হবে তো দেখাকথা: পুলক বন্দ্যোপাধ্যায়, সুর: রতু মুখোপাধ্যায়৩. আকাশপানে চেয়ে চেয়েকথা: পুলক বন্দ্যোপাধ্যায়, সুর: নচিকেতা ঘোষ৪. আমার একদিকে শুধু তুমিকথা: পুলক বন্দ্যোপাধ্যায়, সুর: প্রভাস দে৫. আমার ভালোবাসার রাজপ্রাসাদেকথা: পুলক বন্দ্যোপাধ্যায়, সুর: নচিকেতা ঘোষ৬. আমি কোন পথে যে চলিকথা ও সুর: সুধীন দাশগুপ্ত৭. আমি তার ঠিকানা রাখিনিকথা: পুলক বন্দ্যোপাধ্যায়, সুর: মান্না দে৮. আমি ফুল না হয়ে কাঁটা হয়ে বেশ ছিলামকথা: পুলক বন্দ্যোপাধ্যায়, সুর: প্রভাস দে৯. আমি সাগরের বেলাকথা: প্রণব রায়, সুর: মান্না দে১০. এ কি অপূর্ব প্রেম দিলেকথা: পুলক বন্দ্যোপাধ্যায়, সুর: মান্না দে১১. এ নদী এমন নদীকথা: পুলক বন্দ্যোপাধ্যায়, সুর: প্রভাস দে১২. এই কূলে আমি আর ওই কূলে তুমিকথা: বঙ্কিম ঘোষ, সুর: মান্না দে১৩. ও আমার মনযমুনার অঙ্গে অঙ্গেকথা: শ্যামল গুপ্ত, সুর: মান্না দে১৪. ও কেন এত সুন্দরী হলোকথা: পুলক বন্দ্যোপাধ্যায়, সুর: মান্না দে১৫. ওই মহাসিন্ধুর ওপার থেকেকথা ও সুর: দ্বিজেন্দ্রলাল রায়১৬. ক’ফোটা চোখের জল ফেলেছকথা: পুলক বন্দ্যোপাধ্যায়, সুর: নচিকেতা ঘোষ১৭. কী দেখলে তুমি আমাতেকথা: পুলক বন্দ্যোপাধ্যায়, সুর: প্রভাস দে১৮. কে তুমি তন্দ্রাহরণীকথা: পুলক বন্দ্যোপাধ্যায়, সুর: প্রভাস দে১৯. কত দিন দেখিনি তোমায়কথা: প্রণব রায়, সুর: কমল দাশগুপ্ত২০. কফি হাউসের সেই আড্ডাটা আর আর নেইকথা: গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার, সুর: সুপর্ণকান্তি ঘোষতাঁরা প্রত্যেকে ভোটের মালিক। কিন্তু সরকারি দল আওয়ামী লীগ আর প্রধান বিরোধী দল বিএনপির ভোটের রাজনীতি তাঁদের জীবনের নিরাপত্তার শিকড় উপড়ে ফেলছে।আওয়ামী লীগের ‘সর্বদলীয় সরকার’ এবং নির্বাচন কমিশনের তফসিল ঘোষণা তাঁদের স্বস্তির নিশ্চয়তা দিচ্ছে না। বিএনপি জোটের ডাকা হরতাল ও অবরোধে সহিংসতার মুখে সাধারণ এই মানুষেরা দুই পক্ষের মধ্যে সমঝোতা আর শান্তি দেখতে চাইছেন।গত দুই দিন অবরোধের ঢাকা ঘুরে অন্তত ৫০ জনের সঙ্গে কথা বললে এই আকুতি বড় হয়ে সামনে আসে। তাঁদের কারও কারও গলায় ফোটে একান্ত অসহায়তা।মঙ্গলবার সিএনজিচালিত অটোরিকশায় অবরোধকারীদের দেওয়া আগুনে মুখ আর শরীর পুড়ে গেছে চালক সাবেদ আলীর। বুধবার দুপুরে প্রশ্ন করলে তিনি দুর্বল অস্পষ্ট গলায় বলেন, ‘আমি তো আজনীতি করি না, আমি হইলাম মুরুক্খু মানুষ। কথা হইল, দেশটা য্যান শান্তিতে থাকে—করি খাইতে পারি।’ তাঁর চোখ পানিতে ভাসে।ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের দোতলার ঘরে সাবেদের খাটের পাশে মাটিতে মাদুরে ঘুমাচ্ছিল তাঁর চার বছরের ছেলে আরিফ। স্ত্রী আলেয়া খাতুন বলেন, গাইবান্ধায় গ্রামের বাড়িতে দুটি ছেলেমেয়ে আর শ্বশুর-শাশুড়ির খরচা আছে। সপ্তাহে ৫০০ টাকা ঋণের কিস্তিই বা টানবেন কীভাবে?এই ওয়ার্ডে ১০ বিছানার সাতটিতেই হরতাল-অবরোধে আগুন, ককটেল আর পেট্রলবোমায় পোড়া রোগী। ২৬ অক্টোবর থেকে গতকাল পর্যন্ত সারা দেশে এভাবে আক্রান্ত হয়ে সাতজন মারা গেছেন, আহত হয়েছেন অন্তত ১০৯ জন।শনির আখড়ায় গোলাপ ফুলের ফেরিওয়ালা আবদুর রহিম ১২ নভেম্বর হরতালে বাসে দেওয়া আগুনে পুড়ে যান। তাঁর গলায় হতাশা, ‘যাঁরা মানুষকে মানুষ হয়া জ্বালায়া দেয়, তারা তো আর মানুষের মধ্যে পড়ে না। ওরা পোড়াইতেই থাকব, সাধারণ মানুষ পুড়তেই থাকব।’ রহিমের বোন ফাহিমা আকতার বলেন, ‘যেমনে হোক, দুই দলরে মিলমিশের ভিতরে যাইতে হবে।’পেশায় দরজি কামাল হোসেন পুড়েছিলেন লেগুনায় দেওয়া আগুনে, ১০ নভেম্বর। তাঁর কথা, ‘খারাপের দিকে যাইতাছে দেশ, হেগো প্রতিহিংসার কারণে। ভুক্তভোগী হইলাম আমরা। আমি ক্ষমতায় যামু, মানুষ মরল তো আমার কী—দোনো দলেরই এক অবস্থা।’ নির্বাচনের তারিখ পড়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘শান্তি তো আশাই করা যায় না। অশান্তির নির্বাচন হইব। বর্তমানে যে ক্ষমতায়, ক্ষমতা সে তো ছাড়তে চাইতেছে না। ছাড় কিন্তু তারেই দিতে হবে। বিরোধী দলেরে আমি বলব, তারা হরতাল না দিয়া জনগণ নিয়া সরকারের সঙ্গে আলাপ কইরা নির্বাচন দিক। মানুষরে আতঙ্কের ভিতরে ফেললে তারাও ক্ষতির মইধ্যে পড়ব।’উল্টো দিকে মেয়েদের ওয়ার্ডে মেহেরপুর থেকে আসা মুনিয়ার সারা গা ব্যান্ডেজে মোড়া। অস্ফুটে তিনি বলেন, ‘হরতালে পুইড়েছে। অটোতে পেট্রোল ঢেলে আগুন দিছে।’ তাঁর স্বামী রানা খান নির্বাচনের চলতি তোড়জোড়ের সমর্থক। তাঁর মতে, নির্বাচনে না যাওয়াটা বিএনপির ব্যর্থতা। তবে তিনি এ-ও বলেন, বিনা সমঝোতার নির্বাচনে সমস্যা মিটবে না—‘ছাড় দিতে হবে দুই জনকেই। তবে বিএনপি যেহেতু সমঝোতায় আসছে না, সাধারণ জনগণের জন্যি সরকারকেই কঠিন একটা কিছু ছাড় দিতে হবে।’পরিস্থিতি ‘থমথম’: গতকাল সকালে এলিফ্যান্ট রোডে চালু একটি পোশাক কারখানায় কথা হয় সুপারভাইজার ইলা রানীর সঙ্গে। তাঁর কথা, ‘যেহেতু দুই পক্ষে দ্বন্দ্ব, একতরফা নির্বাচন দিলে সমাধান হবে না। দুই পক্ষই এক জায়গায় বসুক। ছাড় দিক। তবে প্রধানমন্ত্রীরই বেশি ছাড় দেওয়া উচিত, যেহেতু সে দেশের মেরুদণ্ড।’একই রকম কথা শুনি ধানমন্ডি এলাকার একজন প্রবীণ গৃহিণীর মুখেও। পারিবারিকভাবে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে তাঁর সম্পৃক্ততা রয়েছে। তবে তিনি বললেন, ‘আমি সরকারকেও সমর্থন করছি। কিন্তু চাচ্ছি, সংলাপ হোক। মনে করি, এ জন্য সরকারের দায়িত্ব বেশি। একবার ডাকলে আসে নাই, বারবার ডাকেন। আপনি মা। দুষ্টু ছেলেকে মানান!’পাশ থেকে পিঠা বিক্রেতা শিউলি গম্ভীর মুখে মাথা নেড়ে বললেন, ‘এখন থমথম পরিস্থিতি। আর কোনো শব্দ নাই।’পোশাক কারখানাটির নিরাপত্তা কর্মকর্তা মো. আবু মাসুম বলেছিলেন, ‘ইলেকশন হইলে মারামারি কাটাকাটি বিশৃঙ্খলা আরও হবে। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার গঠন করলে সমাধান আসবে।’নিরাশা ও দ্বিধা: গত পরশু বিকেলে সুনসান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ঘুরতে এসেছিলেন মিরু হোসেন। প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধীদলীয় নেত্রীর উদ্দেশে তিনি বললেন, ‘ক্ষমতার লড়াই না করে, নিজেদের পকেটের কথা চিন্তা না করে দেশের মানুষের চিন্তা করেন।’ মিরু বলেন, তিনি এ অবস্থায় ভোট দেবেন না। তাঁর বন্ধু রুবেল হোসেন বলেন, ‘না’ ভোট থাকলে দেবেন।নাট্যকলা বিভাগের ছাত্রী নওরিন সুলতানার কথা, ‘উভয় দল দেশকে নিজেদের ব্যক্তিগত সম্পদ মনে করছে। পরিস্থিতি আরও বেশি অরাজকতার দিকে যাচ্ছে।’ একই বিভাগের ছাত্র রিশান মাহমুদ বলে উঠেছিলেন, ‘রাজনীতির পিছনে যারা, তারা যে কতটা খারাপ, আপনিও বুঝবেন। সরকার ক্ষমতা ছাড়তে চায় না, হয়তো ভাবে, আর ফিরে পাবে না।’রিশান এবারই ভোটার হয়েছেন। ভোট নিয়ে খুব উৎসাহ ছিল, কিন্তু এখন উবে গেছে।লোকসান গোনেন যাঁরা: মহাখালীতে টিবি গেট এলাকায় চিশতিয়া হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টে ঢুকি বুধবার ভরদুপুরে। মালিক মো. আসাদুজ্জামান বললেন, ‘রাজনীতিতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি আমরা, ক্ষুদ্র বা মধ্যম ব্যবসায়ীরা। দেখেন, লাঞ্চের সময়; কিন্তু ঘর ফাঁকা।’ সংলাপের প্রসঙ্গ তোলেন তিনি, তবে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনাগুলা তো খারাপ ছিল না—সর্বদলীয় সরকার। হইতেছে না যে ক্যান...।’পাশের টেবিলে চা সামনে নিয়ে বসে ছিলেন ইমারত হোসেন। দ্রুত বলে ওঠেন, ‘জামায়াতকে বাঁচানোর জন্য মরিয়া হয়া লাগছে বিএনপি। শেখ হাসিনা যেইভাবে ওদের আদর-আপ্যায়ন করতাছে, তারা তো জায়গা ছাড়তাছে না।’এ কথায় নড়েচড়ে বসলেন ঘরের আরেকজন মাত্র খদ্দের আইনজীবী মো. বুলবুল আহমেদ: ‘আমি একমত নই। প্রধান বিরোধী দল না থাকলে এইটা সর্বদলীয় সরকার কী করে হয়? জ্বালাও-পোড়াও যেমন গণতন্ত্রের ভাষা না, এইটাও তা নয়।’হাজির হন দুই পাওনাদার—মাংস আর মুদি ব্যবসায়ী। তাঁরাও মহা বিরক্ত। একজন বলেন, দুই নেত্রী না বসলে সমাধান নাই।কিন্তু তর্কও যেন জোশ পায় না। শেষবেলায় রেস্টুরেন্টের তিন বালক কর্মচারী লালশাক আর অল্প কয়টা কাচকি মাছ দিয়ে ভাত খেতে বসে।২০১৩ সালে প্রযুক্তি-বিশ্বের নতুন অনেক উদ্ভাবন আর পণ্য খবরের শিরোনাম হয়েছে। এর মধ্যে অনেকগুলো বিষয়ই বছর জুড়ে তুমুল আলোচনায় ছিল। জানুয়ারি মাসে কনজুমার ইলেকট্রনিক শো (সিইএস) মেলার প্রযুক্তিপণ্য, সামাজিক যোগাযোগ, সহজে মুছে যায় এমন বার্তা পাঠানোর অ্যাপ্লিকেশন, রোবট, চালকবিহীন বিমানসহ নতুন উদ্ভাবনী পণ্য ও প্রযুক্তির দেখা মিলেছে এ বছর। ২০১৩ সালে যেসব প্রযুক্তি মানুষের আগ্রহের কেন্দ্রে ছিল সেগুলো নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে প্রযুক্তি বিষয়ক ওয়েবসাইট ভেঞ্চারবিট।গোপন নজরদারিএ বছর আলোচনার কেন্দ্রে ছিল মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার গোপন নজরদারির তথ্য ফাঁসের ঘটনাটি। তথ্য ফাঁসকারী মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার সাবেক কর্মী অ্যাডওয়ার্ড স্নোডেন ছিলেন আলোচনার কেন্দ্রে। যুক্তরাজ্যের গার্ডিয়ান ও যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন পোস্ট মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার গোপন নজরদারি ও ফোন রেকর্ডের তথ্য ফাঁস করে হইচই ফেলে দিয়েছিল। প্রযুক্তি বিশ্বে আলোড়ন তুলেছে এরকম ঘটনার অন্যতম ঘটনা ছিল এটি। ধারণা করা হচ্ছে, ২০১৪ সালেও এ ঘটনার রেশ থাকবে।থ্রিডি প্রিন্টিং প্রযুক্তিএ বছর আলোচনায় ছিল থ্রিডি প্রিন্টিং প্রযুক্তি। কিডনি থেকে শুরু করে বন্দুক, গাড়ি, কৃত্রিম হাত-পা সংযোজন, শিল্পকর্মের প্রতিরূপ (রেপ্লিকা) তৈরির মতো কাজে থ্রিডি প্রিন্টিং প্রযুক্তির ব্যবহার নিয়ে এ বছর আলোচনা হয়েছে। গবেষকেরা ধারণা করছেন, থ্রিডি প্রিন্টিং প্রযুক্তির ব্যবহারে আগামী কয়েক দশকে আমাদের জীবনযাত্রায় অভাবনীয় পরিবর্তন হবে। ডিজিটাল অনুরূপ থেকে ত্রিমাত্রিক (থ্রিডি) কঠিন বস্তু হুবহু তৈরি করতে পারে এই বিশেষ প্রিন্টার। যন্ত্রাংশ উত্পাদন শিল্পে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে এই প্রযুক্তি।পরিধেয় প্রযুক্তিপণ্যএ বছর আলোচিত ছিল নতুন নতুন পরিধেয় প্রযুক্তিপণ্য। এ বছর বাজারে এসেছে বেশ কিছু পরিধেয় প্রযুক্তিপণ্য। এগুলোর কোনোটি সমালোচিত হয়েছে আবার কোনোটি হয়েছে প্রশংসিত। এমনই বেশ কয়েকটি পরিধেয় প্রযুক্তি হচ্ছে গুগল গ্লাস, ফিটনেস ট্র্যাকার, স্মার্টওয়াচ। বাজার-বিশ্লেষকেরা বলছেন, এ বছরের মতো আগামী বছরটি হবে পরিধেয় প্রযুক্তিপণ্যের। এ সময় স্মার্টওয়াচ, স্মার্টগ্লাস, স্মার্ট আংটি, স্মার্ট ব্যান্ড, স্মার্ট পরচুলার মতো নানা পরিধেয় প্রযুক্তিপণ্যের দেখা মিলতে পারে। এরমধ্যেই গুগল ও স্যামসাং পরিধেয় প্রযুক্তিপণ্যের সঙ্গে প্রযুক্তিপ্রেমীদের পরিচয় করিয়ে দিয়েছে। বাজার গবেষণা ও পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ফ্রস্ট অ্যান্ড সুলিভানের গবেষক অ্যান্ড্রু মিলরয় জানিয়েছেন, আগামী দুই বছরে পরিধেয় প্রযুক্তিপণ্যের চাহিদা বাড়বে।ব্ল্যাকবেরির পতনএ বছর করপোরেট প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ঘটনা ছিল মাইক্রোসফটের কাছে নকিয়ার মোবাইল ইউনিটটি বিক্রি হয়ে যাওয়ার ঘটনা ও কানাডার মোবাইল ফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ব্ল্যাকবেরির বিপাকে পড়ার ঘটনাটি। লোকসান, কর্মী ছাঁটাইসহ বাজারে পিছিয়ে গিয়ে এবছর করপোরেট প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে বিপাকে পড়েছিল এক সময়ের জনপ্রিয় ব্ল্যাকবেরি স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি। স্মার্টফোনের বাজারে একসময়ের জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম ব্ল্যাকবেরি ওএস নির্ভর ফোন তৈরি করতো রিসার্চ ইন মোশন বা রিম। অ্যান্ড্রয়েড, আইওএসের জনপ্রিয়তার কাছে ক্রমশ পিছিয়ে পড়ে পড়ে ব্ল্যাকবেরি চলতি বছরে কর্মী ছাঁটাই, নতুন অপারেটিং সিস্টেম ব্ল্যাকবেরি ১০ ও প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তন করে ‘ব্ল্যাকবেরি’ রেখেছে। ধারণা করা হচ্ছিল, ব্ল্যাকবেরি ১০ অপারেটিং সিস্টেমনির্ভর স্মার্টফোন ‘জেড১০’ ব্ল্যাকবেরিকে ঘুরে দাঁড়াতে সাহায্য করবে। তবে ব্ল্যাকবেরি ১০ অপারেটিং সিস্টেম চালিত জেড ১০ আশানুরূপ বিক্রি করতে পারেনি ব্ল্যাকবেরি। লোকসানের ধারায় থাকা প্রতিষ্ঠানটি শেষ নাগাদ বিক্রি হতে বসেছিল ব্যক্তিগত কোনো ক্রেতার কাছে। তবে শেষ নাগাদ প্রতিষ্ঠানটি কর্মকর্তাদের মধ্যে রদবদল করে টিকে থাকার চেষ্টা করে যাচ্ছে। জনপ্রিয় ব্ল্যাকবেরি মেসেজিং অ্যাপ্লিকেশনটি অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএসের জন্য উন্মুক্ত করার মতো ঘটনাও ঘটেছে এ বছর।সব কিছুতেই ইন্টারনেটএ বছর প্রযুক্তি বিশ্বে আলোচিত বিষয়গুলোর একটি ছিল সব কিছুতেই ইন্টারনেট প্রযুক্তির ব্যবহারের বিষয়টি। সাশ্রয়ী ইন্টারনেট ব্যবস্থার ফলে যদি ঘর গেরস্থালির সব পণ্য থেকে শুরু করে ব্যবসার কাজের উপযোগী পণ্যগুলোতে ইন্টারনেট সংযোগ দেওয়া সম্ভব হয় ডিজিটাল জীবনব্যবস্থায় ব্যাপক পরিবর্তন আসবে বলেই মনে করেন গবেষকেরা।
সপ্তাহের প্রথম দিন আজ রোববার সূচকের নিম্নমুখী প্রবণতায় শেষ হয়েছে দেশের শেয়ারবাজারের লেনদেন। দিনের লেনদেন শেষে দুই স্টক এক্সচেঞ্জেই অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। ফলে সূচকও কমেছে। তবে লেনদেন বেড়েছে দুই স্টক এক্সচেঞ্জে। এদিকে সূচক কমায় আজ ডিএসইর সূচক চার হাজার পয়েন্টের নিচে নেমে এসেছে।প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে জানা যায়, দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর ডিএসইএক্স সূচক ৪৪ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৩,৯৬৮ পয়েন্টে।এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় ডিএসইতে লেনদেন শুরু হয়। বেলা ১১টার দিকে সূচক ২১ পয়েন্ট বেড়ে যায়। এরপর সূচক বাড়ার হার কমতে শুরু করে। এমনকি শেষ পর্যন্ত নিম্নমুখী থাকে সূচক।ডিএসইতে আজ ২৯১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড হাতবদল হয়েছে। এর মধ্যে ১৯৫টির দাম কমেছে, বেড়েছে মাত্র ৮১টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ১৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম।ডিএসইতে আজ ৩৩২ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যা গত বৃহস্পতিবারের চেয়ে ২৯ কোটি টাকা কম। গতকাল এই বাজারে ৩০৩ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছিল।ডিএসইর পাশাপাশি চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচক কমেছে। লেনদেন শেষে সিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক ১৭১ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১২ হাজার ২৪০ পয়েন্টে।আজ সিএসইতে হাতবদল হওয়া ২১৪টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৫২টির দাম কমেছে, বেড়েছে মাত্র ৫২টির  এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম।সিএসইর লেনদেন আজ ৩০ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে, যা বৃহস্পতিবারের চেয়ে তিন কোটি টাকা বেশি। বৃহস্পতির এই বাজারে ২৭ কোটি টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়।ডিএসইতে আজ লেনদেনে শীর্ষে ছিল বিএসসিসিএল। আজ এই প্রতিষ্ঠানের ২৫ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। এ ছাড়া লেনদেনে শীর্ষে থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে সিএমসি কামাল, আরগন ডেনিমস, জেএমআই সিরিঞ্জ, কনটিনেন্টাল ইনস্যুরেন্স, জেনারেশন নেক্সট ফ্যাশন, ইউনাইটেড এয়ার, রহিমা ফুড, তাল্লু স্পিনিং, প্রাইম ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড প্রভৃতি।ফারহানা মিঠু। অভিনয়শিল্পী। মাছরাঙা টেলিভিশনে আজ দুপুরে প্রচারিত হবে তাঁর উপস্থাপনায় ‘মনের জানালা’ অনুষ্ঠানটি।‘মনের জানালা’ ধরে...মাছারাঙা টেলিভিশনের মানসিক স্বাস্থ্যবিষয়ক এই অনুষ্ঠানটি একধরনের সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকেই করছি। এখানে মূলত সামাজিক সমস্যাগুলো নিয়েই বেশি কথা হয়। সামাজিক সমস্যাগুলোর কারণে মানসিক সমস্যার সূত্রপাত। অনুষ্ঠানে বিশেষজ্ঞদের আমন্ত্রণ জানানো হয়। দর্শকদের অংশগ্রহণও থাকে। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করার পর মনে হয়েছে, আমি গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক কাজে কিছুটা হলেও অবদান রাখতে পারছি।ধারাবাহিকের গল্প...২৬ পর্বের ঘূর্ণিপাক নামের একটি ধারাবাহিকে অভিনয় করছি। এ ছাড়া অনিমেষ আইচের বিন্দু বিসর্গ ধারাবাহিকের কাজও চলছে। শিগগিরই অম্লান বিশ্বাসের একটি ধারাবাহিকে অভিনয় করার কথা আছে।এক ঘণ্টার নাটক...আমি তো এক ঘণ্টার নাটকেই অভিনয় করতে চাই। এখন তো ধারাবাহিক নাটকই বেশি হচ্ছে। তাই বাধ্য হয়েই ধারাবাহিক নাটকে অভিনয় করতে হচ্ছে। তার পরও অনেক বেছে বেছে কাজ করছি। আমার কথা হলো, যেকোনো কাজে বক্তব্য না থাকলে সে কাজ গুরুত্বহীন। অভিনয়ের বেলায়ও এটা মেনে চলার চেষ্টা করি। অভিনয়ের জায়গা না থাকলে কাজ করে সন্তুষ্ট হতে পারি না।মঞ্চের দিনরাত্রি...নিয়মিত অভিনয় করছি নাগরিক নাট্যসম্প্রদায়ে আর পালাকারে। মঞ্চে নারীগণ ও কালবেলা নাটক দুটো করছি নিয়মিত। সামনে নতুন কাজ শুরু হবে।আমার লেখালেখি...এই মুহূর্তে একটা কিশোর উপন্যাস থেকে চিত্রনাট্য করছি। কেবলই শুরু করেছি।অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে পুরোনো গাড়ির বেচাকেনা বাড়ছে। এক্ষেত্রে সবচেয়ে জনপ্রিয় হচ্ছে টয়োটা করোলা গাড়িটি।অনলাইনে বিজ্ঞাপন দিয়ে ক্রেতাদের সঙ্গে মোবাইল ফোনে বা মেইলে যোগাযোগ করে গাড়ি বিক্রি করছেন অনেকেই। ক্রেতারাও সহজে অনলাইন থেকে গাড়ির সব তথ্য জেনে নিতে পারছেন। সম্প্রতি অনলাইনে পণ্য বেচাকেনার প্ল্যাটফর্ম বিক্রয় ডটকম কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানিয়েছে।বিক্রয় ডটকম দাবি করেছে, অক্টোবর মাসে তাদের ওয়েবসাইটে টয়োটা গাড়ির বিজ্ঞাপন পড়েছে সবচেয়ে বেশি। এক মাসে এ সাইটটিতে গড়ে প্রায় তিন হাজার পুরোনো টয়োটা গাড়ি বিক্রির বিজ্ঞাপন দেওয়া হয় যার মধ্যে ৯৭৯টি ছিল টয়োটা করোলা।বিক্রয় ডটকমের তথ্য অনুযায়ী, অনলাইন প্ল্যাটফর্ম এখন পুরোনো গাড়ি কেনা-বেচার স্থান হয়ে উঠছে। অনলাইনে সহজে বিজ্ঞাপন দেওয়া ও ক্রেতাদের সহজে তথ্য খুঁজে পাওয়ার সুবিধা থাকায় এ ধরনের প্ল্যাটফর্ম জনপ্রিয় হচ্ছে।কমলাপুরে বোমা হামলায় রেলস্টেশনের নিরাপত্তা প্রহরী আবুল কাশেম নিহত হওয়ার ঘটনায় কমলাপুর রেলওয়ে থানায় একটি মামলা হয়েছে। আজ সোমবার রেলওয়ে নিরাপত্তা প্রহরী মোস্তাফিজুর রহমান বাদী হয়ে মামলাটি করেন।এ ঘটনায় আটক দুই যুবক আমিনুল ইসলাম (২০) ও মো. আলমকে (২০) এ মামলায় আসামি করা হয়েছে। মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, আমিনুল ইসলাম বাড়ি জামালপুরের উত্তর কুড়লায়। মো. আলমের বাড়ি কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার তুলাতলিতে।গতকাল রোববার কমলাপুরে রেলস্টেশনে দায়িত্ব পালনের সময় নিরাপত্তা প্রহরী আবুল কাশেম বোমা হামলায় প্রাণ হারান। পরে পুলিশ ও নিরাপত্তা প্রহরীরা ঘটনাস্থল থেকে দুই যুবককে গ্রেপ্তার করে।রেলওয়ের কমলাপুর থানার পুলিশের (ওসি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল মজিদ ‘প্রথম আলো’কে জানান, আহত দুই যুবক নিজেদের শিবির কর্মী বলে স্বীকার করেছেন। ঘটনার দিনে ওই দুই যুবক কমলাপুর রেলস্টেশনের পাশে যুবলীগের সমাবেশে হামলার পরিকল্পনা করছিল।আবদুল মজিদ আরও জানান, বিস্ফোরিত বোমার আলামত থেকে দেখা গেছে, বোমাটি অনেক শক্তিশালী ছিল। সমাবেশে হামলা হলে অনেক মানুষ মারা পড়ত।মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম জানান, গতকাল দুই যুবক ঢাকা জেলা মুখ্য মহানগর হাকিমের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। জবানবন্দিতে তাঁরা বোমা হামলার কথা স্বীকার করেছেন। পরে তাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।রেলওয়ে কর্মকর্তারা জানান, নিহত আবুল কাশেমের পরিবারকে এক লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া অকাল মৃত্যুতে তাঁর পরিবারের যোগ্য একজনকে রেলওয়েতে চাকরি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।কমলাপুরে জানাজাঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে ময়নাতদন্ত শেষে আজ আবুল কাশেমের লাশ কমলাপুর রেলস্টেশন প্রাঙ্গণে নিয়ে আসা হয়। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সেখানে তাঁর জানাজা হয়। জানাজায় রেলওয়ের মহাপরিচালক আবু তাহের, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও কাশেমের সহকর্মীরা অংশ নেন। পরে একটি অ্যাম্বুলেন্সে তাঁর লাশ গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার উজানি গ্রামে পাঠানো হয়।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, বাগেরহাটের রামপালে কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ প্রকল্প করলে সুন্দরবন ধ্বংস হয়ে যাবে বলে পরিবেশবাদীরা যে আন্দোলন করছেন, তা অর্থহীন ও ভিত্তিহীন।আজ রোববার সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী এ কথা বলেন। আন্দোলনকারীদের বক্তব্য তথ্যভিত্তিক নয় বলেও দাবি করেন অর্থমন্ত্রী। আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, ‘ভুল জায়গায় দাঁড়িয়ে তাঁরা আন্দোলন করছেন।’রামপালে তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে পরিবেশের ওপর এর কোনো প্রভাব পড়বে কি না, তা বিশ্লেষণ করা হয়েছে বলেও দাবি করেন অর্থমন্ত্রী।আবুল মাল আবদুল মুহিত দাবি করেন, পরিবেশের কোনো ক্ষতি যাতে না হয়, সে চিন্তা করেই রামপালে বিদ্যুৎকেন্দ্র করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে কয়লাভিত্তিক আটটি বিদ্যুৎকেন্দ্র করার প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী।রামপালে তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন থেকে সরকার ১১ অক্টোবরের মধ্যে সরে না এলে ১২ অক্টোবর থেকে সুন্দরবন রক্ষায় নতুন কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি করেছে জাতীয় তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি।গতকাল শনিবার মংলার দিগরাজ বাসস্ট্যান্ডে পাঁচ দিনের লংমার্চের কর্মসূচির শেষ দিনে সুন্দরবন ঘোষণাপত্র পাঠের মধ্য দিয়ে মংলায় জাতীয় তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির লংমার্চ কর্মসূচি শেষ হয়।ওয়েবসাইটে বিশেষ সংকেত ব্যবহার করাওয়েবসাইট থেকে কপি বা ডাউনলোড বন্ধ করার জন্য অনেকে বিশেষ বিশেষ পদ্ধতি অনুসরণ করে থাকেন। মাউসের ডান বাটন অকার্যকর করে রাখা: ওয়েবসাইটের ছবির ওপর মাউসের ডান ক্লিক করে ওই ছবিটি কম্পিউটারে সংরক্ষণ করা যায়। তাই অনেকেই তাঁর নিজের ওয়েবসাইটে মাউসের ডান ক্লিক সুবিধা অকার্যকর করে রাখেন। মূল ছবিটি একাধিক অংশে বিভক্ত করা: ওয়েবসাইটে রাখার জন্য আপলোডের আগে অনেকে মূল ছবিটি একাধিক অংশে বিভক্ত করে এবং ওয়েবসাইটে এমনভাবে প্রকাশ করা হয় যে সেখানে আলাদা অংশগুলো থেকে একটি সম্পূর্ণ ছবি দেখা যায়। কিন্তু ডাউনলোডের চেষ্টা করা হলে তখন আবার ছবিটি আলাদা টুকরো হিসেবে সংরক্ষিত হবে। সিএসএস পটভূমি: নিরাপত্তার আরও একটি পদ্ধতি হলো, মূল ছবির আকারের একটি স্বচ্ছ ছবি ব্যবহার করা এবং সিএসএস ব্যবহার করে মূল ছবিটি প্রদর্শন করা। এর ফলে মাউসের ডান ক্লিক করে সংরক্ষণ করা হলে ওই স্বচ্ছ ছবিটি ডাউনলোড হবে। ওয়েবসাইটের উৎস থেকে ব্যাকগ্রাউন্ড ছবিটি সহজে খুঁজে পাওয়া যাবে।ছোট আকারের ছবিঅনলাইনে এমন ছোট আকারে ছবি রাখা যেতে পারে, যেগুলো অন্যদের খুব বেশি কাজে লাগবে না। ৪০০ পিক্সেল থেকে ৬০০ পিক্সেল মাপে ছবি প্রকাশ করা যেতে পারে। এই মাপের ছবি থেকে ছবিটি সম্পর্কে সাধারণ ধারণা পাওয়া যাবে, আর কেউ যদি আরও আগ্রহী হয়ে থাকেন, তবে তিনি হয়তো ছবিটির জন্য আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন।মনে রাখবেন, ওয়েবসাইটে এইচটিএমএল সংকেত ব্যবহার করে মূল ছবি বিভিন্ন আকারে দেখানো যায়। কিন্তু এর ফলে মূল ছবিটির আকার পরিবর্তিত হয় না। তাই আপলোড করার আগে ছবি সম্পাদনার সফটওয়্যার দিয়ে আকার পরিবর্তন করুন। (চলবে) —নাসির খানমুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে মেঘনা সেতুর ওপর আজ শুক্রবার সকালে একটি ট্রাক বিকল হওয়ায় সব ধরনের যানচলাচল বন্ধ রয়েছে।এতে সেতুর দুই প্রান্তে অন্তত ২০ কিলোমিটার সড়কজুড়ে যানবাহন আটকা পড়েছে। এতে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন যাত্রীরা।১৮ দলের ডাকা টানা ৭১ ঘণ্টা অবরোধের পর আজ ছুটির দিনে চলাচলের সুযোগ হওয়ায় সড়কগুলোতে যানবাহনের ভিড় দেখা যাচ্ছে।পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সকাল সাড়ে নয়টার দিকে ওই সেতুর ওপর চট্টগ্রামগামী একটি ট্রাক হঠাত্ বিকল হয়ে পড়ে। এতে ওই যানজটের সৃষ্টি হয়। ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে ট্রাকটি সরানোর চেষ্টা চালাচ্ছে।ভবেরচর হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সার্জেন্ট সাইফুল ইসলাম বলেন, রেকার এনে ট্রাকটি সরানোর চেষ্টা চলছে। শিগগিরই যানচলাচল স্বাভাবিক হবে।ঘটনাস্থলে আটকে পড়া কুমিল্লা থেকে ঢাকাগামী বাসের যাত্রী কামরুননেসা প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, কুমিল্লা থেকে তিন ঘণ্টার মধ্যে ঢাকা পৌঁছানোর কথা। সেতুতে আটকে পড়ায় চার ঘণ্টায়ও ঢাকা পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না।রাজশাহীর বিনোদপুর এলাকায় ৬৫টি ককটেল ও পাঁচ কেজি গানপাউডার পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে বলে যৌথ বাহিনী জানিয়েছে।আজ সোমবার ভোরে র্যাব, পুলিশ ও বিজিবির সদস্যরা ওই অভিযান পরিচালনা করে।রাজশাহীর র্যাব-৫ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে যৌথ বাহিনী নগরের বিনোদপুরের মণ্ডলের মোড়ে অভিযান চালায়। সেখানে পরিত্যক্ত অবস্থায় ৬৫টি ককটেল ও পাঁচ কেজি গানপাউডার পাওয়া যায়।রাজশাহী মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন জানান, যৌথ বাহিনী ভোররাতে নগরের ডাশমারি এলাকায় আরেকটি অভিযান চালিয়ে রাজশাহী মহানগর বিএনপির সহসভাপতি ও ২৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহজাহান আলীসহ চারজনকে আটক করে।
পোশাকশ্রমিকদের দাবি নিয়ে রাজনীতি হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদের (স্কপ) নেতারা। একই সঙ্গে তাঁরা বলেছেন, মালিকপক্ষের ৬০০ টাকার প্রস্তাব শ্রমিকদের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে দিয়েছে। এ জন্যই শ্রমিকেরা ক্ষুব্ধ হয়ে রাস্তায় নেমে এসেছেন।রাজধানীর তোপখানা রোডের স্কপের কার্যালয়ে আজ রোববার আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন স্কপের নেতারা। এ সময় তাঁরা পোশাকশিল্পের অস্থিরতা নিরসন করতে অক্টোবরের মধ্যে ন্যূনতম মজুরি ঘোষণার দাবি জানান।এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি শুকুর মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘নারী শ্রমিকদের নিয়ে হেফাজতে ইসলামের বক্তব্য আমরা সমর্থন করি না। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছি। একই সঙ্গে সরকারের একজন মন্ত্রীর হঠাত্ করে শ্রমিক সমাবেশ করে মজুরি বৃদ্ধির দাবি জানানোর বিষয়টিকেও আমরা সমর্থন করি না। আবার মালিকপক্ষ মাত্র ৬০০ টাকা বৃদ্ধির প্রস্তাব দিল।’শুকুর মাহমুদ আরও বলেন, পরিস্থিতি এমন হয় যে মালিক-শ্রমিক ও সরকার এখন মুখোমুখি অবস্থানে চলে যান। তার পরপরই অস্থিরতার সূত্র ধরে শ্রমিকদের ওপর পুলিশি নির্যাতন শুরু হয়। কিন্তু জুলুম-অত্যাচার করে শ্রমিকদের আন্দোলন দাবিয়ে রাখা যাবে না; বরং অবিলম্বে ন্যূনতম মজুরি আট হাজার টাকা বাস্তবায়ন করলেই শিল্পটিতে শান্তি ফিরে আসবে।মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে শ্রমিক অসন্তোষ হলেই বিজিএমইএ কেন ষড়যন্ত্রের কথা বলে—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামান রতন বলেন, বিজিএমইএ গত ২০ বছরেও এই ষড়যন্ত্রের কারণ উদঘাটন করতে পারেনি। আসলে শ্রমিকদের দাবি ভিন্ন খাতে নিয়ে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করতেই তারা এই কৌশল নিয়েছে।মজুরি বাড়ালে কারখানা বন্ধ হয়ে যাবে না মন্তব্য করে রাজেকুজ্জামান আরও বলেন, গত কয়েক বছরে কারখানার সংখ্যা কমলেও শ্রমিক নিয়োগের সংখ্যা বেড়েছে। একসময় ৬০০ শ্রমিক নিয়ে শুরু হওয়া সিনহা গার্মেন্টসে এখন কাজ করেন ৬৪ হাজার শ্রমিক। আসলে বড় পুঁজির কারখানাগুলোই ছোট পুঁজির কারখানাগুলোকে গিলে খায়।পোশাকশিল্পের ৭০ শতাংশ কারখানারই ৬০০ টাকার বেশি মজুরি বৃদ্ধির সক্ষমতা নেই—বিজিএমইএর এমন দাবির প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক ওয়াজেদুল ইসলাম বলেন, এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও অযৌক্তিক কথা। এসব কারখানা কমপ্লায়েন্স মানে না, কিন্তু বড় ক্রেতাদের কাজ ঠিকই সাব কন্ট্রাক্টে করছে। তিনি বলেন, শ্রমিকদের শ্রমের বিনিময়ে এই মালিকেরাও বিদেশে বাড়ি কিনছেন। বিলাসবহুল গাড়িতে চড়ছেন। কিন্তু তাঁরা শ্রমিকের অবদান স্বীকার করতে চান না। এটা হচ্ছে সবচেয়ে দুঃখজনক।সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন স্কপের চেয়ারম্যান শফিউদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ মুক্ত শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মজিবর রহমান, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘের সাধারণ সম্পাদক খলিলুর রহমান, জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক জাফরুল হাসান প্রমুখ।ভারতের নতুন পেঁয়াজ অনেক কম দামে দেশে আসছে। পাকিস্তান থেকে দেশে আসার পথে রয়েছে ১৫০টি কনটেইনার ভর্তি পেঁয়াজ। মিয়ানমার থেকে আসা পেঁয়াজও টেকনাফ থেকে সরাসরি চলে আসছে ঢাকায়।এই তথ্য দিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, পেঁয়াজের দাম কমে যাওয়া এখন সময়ের ব্যাপার। যাঁরা দাম বাড়িয়েছেন বা আরও বাড়ানোর পাঁয়তারা করছেন, তাঁরা ভুল করছেন।অতিরিক্ত বাণিজ্যসচিব এ টি এম মূর্তজা রেজা চৌধুরীর সভাপতিত্বে গতকাল বুধবার সচিবালয়ে পেঁয়াজের সরবরাহ ও মূল্য পরিস্থিতি নিয়ে জরুরি মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।অপর দুই অতিরিক্ত বাণিজ্যসচিব মনোজ কুমার রায় ও অমিতাভ চক্রবর্তী, ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) চেয়ারম্যান সারোয়ার জাহান তালুকদার এবং বাংলাদেশ ব্যাংক, ট্যারিফ কমিশন, কৃষি মন্ত্রণালয়, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, ডিজিএফআই, এনএসআই, পেঁয়াজ আমদানিকারক সমিতির প্রতিনিধিরা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।বৈঠক শেষে বাণিজ্যসচিব মাহবুব আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘প্রতিবেশী তিন দেশ থেকে সমানে পেঁয়াজ আসছে। পণ্যটির দাম কমে যাওয়া এখন সময়ের ব্যাপার।’টিসিবির পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ঈদের আগে মানভেদে ৭০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে পেঁয়াজ। ঈদের ছুটির পরপরই ব্যবসায়ীরা কেজিতে ১৫ থেকে ২০ টাকা দাম বাড়িয়ে দেন। ২৬ থেকে ২৯ অক্টোবর চার দিন পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৯০ থেকে ১১০ টাকা কেজি দরে।হরতালের সুযোগ নিয়ে ব্যবসায়ীরা এই অযৌক্তিক কাজটি করেছেন বলে মনে করেন বাণিজ্যসচিব। সরবরাহ ভালো থাকায় দাম কমা এরই মধ্যে শুরু হয়েছে বলে জানান তিনি। টিসিবির তথ্য অনুযায়ী, আগের দিনের তুলনায় গতকাল কেজিতে পাঁচ টাকা কমেছে পেঁয়াজের দর।বৈঠকসূত্র জানায়, পেঁয়াজের সংকট থাকবে না, দামও বাড়বে না—ব্যবসায়ীরা এমন আশ্বাস দিয়েছেন। গোয়েন্দা সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়, পেঁয়াজ নিয়ে যেকোনো ধরনের ষড়যন্ত্র, বা কৃত্রিম উপায়ে সংকট সৃষ্টির চেষ্টার ব্যাপারে কঠোর নজরদারি রাখা হচ্ছে। অল্প কয়েক দিনের ব্যবধানে কেজিতে ২০ টাকা বাড়ানোর পেছনে কারা দায়ী—সেই তথ্যও গোয়েন্দা সংস্থার কাছে রয়েছে।যোগাযোগ করলে টিসিবির চেয়ারম্যান সারোয়ার জাহান তালুকদার প্রথম আলোকে বলেন, পেঁয়াজের দাম যে কমে আসবে, এটা একটা বাস্তবতা। তা ছাড়া আগামী সপ্তাহ থেকে টিসিবিও আগের মতো সাশ্রয়ী দরে পেঁয়াজ বিক্রি করবে।ইরানের উপসাগরীয় উপকূল অঞ্চলে একমাত্র পারমাণবিক স্থাপনার কাছে গতকাল বৃহস্পতিবার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাতে সাতজন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে ৩০ জন।ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে জরুরি সহায়তাবিষয়ক প্রধান হাসান কাদামির বিবৃতির বরাত দিয়ে টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে জানানো হয়, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের তীব্রতা ছিল ৫ দশমিক ৭।ভূমিকম্পটির কেন্দ্রস্থল বুশেহর শহর থেকে ৬০ কিলোমিটার দূরে বোরাজ্জান শহরের কাছে। বুশেহরে রাশিয়ার সহায়তায় নির্মিত একটি পারমাণবিক চুল্লি রয়েছে।বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮-দলীয় জোটের ‘গণতন্ত্রের অভিযাত্রা’ কর্মসূচিতে যোগ দিতে আজ সোমবার বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া নয়াপল্টনে যাবেন। গতকাল রোববার পুলিশি বাধার মুখে তিনি বাড়ি থেকে বের হতে পারেননি। বিএনপির চেয়ারপারসের নিরাপত্তা কর্মীরা সকালের দিকে সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, আজ বেলা তিনটার দিকে খালেদা জিয়া বাড়ি থেকে কর্মসূচির উদ্দেশে বের হবেন। তবে তাঁকে বের হতে বাধা দেওয়া হবে কি না, এ ব্যাপারে পুলিশ কর্মকর্তাদের কেউ মুখ খুলছেন না।বিকেল সাড়ে চারটায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত খালেদা জিয়া তাঁর বাড়িতেই অবস্থান করছিলেন।গুলশানে বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়ার গুলশানের বাসভবন সকাল থেকে ঘিরে রেখেছে ১০ প্লাটুন পুলিশ। বেলা তিনটার দিকে বাড়ির বন্ধ ফটকের সামনে ৭০জনের মতো পুলিশ অবস্থান নিয়েছেন।গতকালের মতো আজও তাঁর বাড়ির পূর্ব পাশের গলিতে আড়াআড়িভাবে বালুভর্তি ট্রাক রাখা আছে। সেখানে জলকামানও রাখা আছে। পুলিশ, র্যাব ও সাদা পোশাকে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তাদের তত্পরতা দেখতে পাওয়া গেছে।খালেদা জিয়ার বাড়ির সামনে কত দিন বালুভর্তি ট্রাক এভাবে থাকবে, জানতে চাইলে চালক জসিম বলেন, যত দিন পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নির্দেশ থাকবে, তত দিন এখানে থাকতে হবে।সকাল থেকে বিএনপির কোনো নেতা-কর্মীকে গুলশান ২ নম্বর থেকে খালেদা জিয়ার বাড়ি পর্যন্ত আসতে দেখা যায়নি। তবে বেলা ১টা ২০ মিনিটে খালেদা জিয়ার বাসায় যেতে চাইলে বাড়ির সামনে থেকে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, সাংসদ রাশেদা বেগম হীরা ও সাবেক সাংসদ হালিমা নেওয়াজকে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। এরপর বেলা দুটার পর তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।গতকাল পুলিশের বাধার মুখে এক ঘণ্টা চেষ্টা করেও গুলশানের বাসভবন থেকে বেরিয়ে আসতে পারেননি বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। খালেদা জিয়ার গাড়ি বাড়ির মূল ফটকে আসতেই তা আটকে দেয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। প্রায় আধা ঘণ্টা গাড়িতে অপেক্ষা করে নেমে আসেন খালেদা জিয়া। কিন্তু হেঁটেও তাঁকে এগোতে দেওয়া হয়নি। এ সময় তিনি পুলিশ সদস্যদের বকাঝকা করেন, সরকারের বিরুদ্ধেও নিজের ক্ষোভ ঝাড়েন। বাড়ির মূল ফটকের সামনে বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষার পর বিকেল চারটার দিকে বাড়ির ভেতরে আঙিনায় চলে যান তিনি। এরপর বন্ধ করে দেওয়া হয় মূল ফটক। বাড়ির আঙিনায় জাতীয় পতাকা হাতে কিছুক্ষণ বসেন খালেদা জিয়া। এ সময় তাঁর বাড়ির দেয়াল টপকে কয়েকজন সাংবাদিক ভেতরে প্রবেশ করেন। তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন বিরোধীদলীয় নেতা। সোয়া চারটার দিকে আবার বাসায় ঢুকে যান বিরোধীদলীয় নেতা। শনিবার রাত থেকেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাঁর বাড়িতে যাওয়ার পথ বালুভর্তি তিনটি ট্রাক ও পূর্ব পাশের গলিতে দুটি ট্রাক আড়াআড়িভাবে রেখে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে।সাংবাদিকদের সরে যেতে পুলিশের অনুরোধখালেদা জিয়ার বাসার সামনে থেকে সাংবাদিকদের সরে যেতে অনুরোধ করেছে পুলিশ। গুলশান জোনের উপকমিশনার লুত্ফুল কবির খালেদার বাসভবনের সামনে রাখা ট্রাকের ওপর থেকেও সংবাদকর্মীদের নেমে যাওয়ার অনুরোধ করেছেন। তিনি বলেন, বিরোধীদলীয় নেতা ও সংবাদকর্মী উভয়ের নিরাপত্তার স্বার্থে সাংবাদিকদের ট্রাকের ওপর থেকে নেমে যাওয়া উচিত। ট্রাকের ওপর দাঁড়িয়ে থাকলে সমস্যা কী, জানতে চাইলে তিনি বলেন, সব সমস্যা সবার সঙ্গে ‘শেয়ার’ করা যায় না।সাংবাদিকেরা পাল্টা অনুরোধ করেছেন, যেন পশ্চিম পাশে রাখা ট্রাকের ওপর থেকে তাঁদের নেমে যেতে অনুরোধ করা না হয়।গত শনিবার পর্যন্ত খালেদা জিয়ার বাসভবনের সামনে মূল ফটকের সামনে সাংবাদিকরা যেতে পারলেও গতকাল থেকে সেখানে তাঁদের দাঁড়াতে দেওয়া হচ্ছে না। এ কারণে গতকাল খালেদা জিয়ার বাসার সামনে রাখা বালুভর্তি ট্রাকের ওপর সাংবাদিকেরা অবস্থান নিয়েছিলেন। তাঁরা ওই ট্রাকের ওপর দিয়ে মই বেয়ে গতকাল সংবাদ সংগ্রহ করতে খালেদা জিয়ার বাসভবনের ভেতর প্রবেশ করেন।
‘স্টিম কন্ট্রোলার’ নামে একটি গেম কন্ট্রোলারের ঘোষণা দিয়েছে গেম নির্মাতা ও প্রকাশক ভালভ। এ কন্ট্রোলারের সাহায্যে প্রচলিত কিবোর্ড ও মাউসের পরিবর্তে আরও সহজভাবে গেম নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। এক খবরে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি অনলাইন।ভালভ কর্তৃপক্ষ সম্প্রতি লিনাক্সভিত্তিক ‘স্টিমওএস’ নামের অপারেটিং সিস্টেম ও স্টিম গেম কনসোলের ঘোষণা দিয়েছে। এবার সহজভাবে গেম খেলার জন্য নতুন কন্ট্রোলার বাজারে আনার ঘোষণা দিল প্রতিষ্ঠানটি।ভালভ কর্তৃপক্ষ জানায়, গেম কনসোলের পাশাপাশি কন্ট্রোলারটি পিসির সঙ্গে যুক্ত করেও গেম খেলা যাবে। তারবিহীন প্রযুক্তির এই কন্ট্রোলার ২০১৪ সালে স্টিম কনসোলের সঙ্গে বাজারে আনার পরিকল্পনা রয়েছে।স্টিম কন্ট্রোলারে ফিচার হিসেবে রয়েছে ডুয়াল ট্র্যাকপ্যাড, হ্যাপটিক ফিডব্যাক সমর্থন সুবিধা। বর্তমানে এ কন্ট্রোলারের বিটা সংস্করণ নিয়ে কাজ করছে ভালভ।এলজির ২২ইএ৬৩ভি মডেলের নতুন এলইডি মনিটর বাজারে এসেছে। সিনেমা পর্দা ডিজাইনের মনিটরটি খুবই সরু ফ্রেমের। এর আছে রয়েছে ২১.৫ ইঞ্চি পর্দা। মনিটরটি সুপার এনার্জি সেভিং প্রযুক্তির হওয়ায়, এটি বিদ্যুৎসাশ্রয়ী এবং পরিবেশবান্ধব। গ্লোবাল ব্র্যান্ড (প্রা.) লিমিটেডের আনা মনিটরটির দাম ১৪ হাজার ৫০০ টাকা। —বিজ্ঞপ্তিনরসিংদীর পলাশ উপজেলায় ছাত্রদলের হামলায় আহত ছাত্রলীগের আরেক কর্মী মো. শহীদুল্লাহ মিয়া (২৬) মারা গেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার সময় তিনি মারা যান। এ হামলায় এ নিয়ে দুজন নিহত হলেন।নিহত শহীদুল্লাহ মিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য। তাঁর বাড়ি নরসিংদীর ঘোড়াশাল উপজেলায়।গতকাল রাত সাড়ে আটটার দিকে নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল বাসস্ট্যান্ডে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেনের ব্যবসায়িক কার্যালয়ে একটি বর্ধিত সভা চলছিল। অবরোধের সমর্থনে মিছিল করে এসে পৌর ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা সেখানে হামলা চালান। এরপর তাঁরা উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য আনোয়ার হোসেনকে কুপিয়ে হত্যা করেন। এ সময় উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য শহীদুল্লাহ মিয়া ও ইয়াসিন মোল্লা গুরুতর আহত হন।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে বিরোধী দলের ৮৪ ঘণ্টার হরতাল চলাকালে ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল থেকে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেনের ব্যবসায়িক কার্যালয়ে ঢিল ছোড়া হয়। এতে ওই কার্যালয়ের সামনের দরজার কাচ ভেঙে যায়। এ ঘটনার জের ধরে মনির হোসেনের লোকজন ছাত্রদলের কয়েকজন কর্মীর বাড়িতে হামলা চালায়। পরে ছাত্রলীগের এক কর্মীকে কুপিয়ে জখম করে ছাত্রদলের কর্মী রিপন ও রুবেল। ঘটনার পর তাঁরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান। গতকাল সন্ধ্যায় রিপন ও রুবেল এলাকায় ফিরে এলে আনোয়ার হোসেনসহ কয়েকজন ছাত্রলীগকর্মী তাঁদের মারধর করে পুলিশে সোপর্দ করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বিএনপি ও ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা গতকাল রাতে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেনের ব্যবসায়িক কার্যালয়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালান। এ সময় সেখানে ছাত্রলীগের বৈঠক চলছিল। হামলায় আনোয়ার হোসেন ও শহীদুল্লাহ নিহত হন।ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে প্রথম আলো ডটকমকে পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুনুর রশীদ জানান, এখনো কোনো মামলা হয়নি।ফুটবল আর সংগীতের মধ্যে প্রধান মিল কী? প্রশ্নটি বেমক্কা মনে হতেই পারে। কেননা, ফুটবল আর সংগীত যে ভিন্ন দুটি জগত্। তবে হ্যাঁ, একটি জায়গায় সাদৃশ্য খুঁজে পাওয়া যেতে পারে। নান্দনিক ফুটবলে যেমন মানুষকে মোহাবিষ্ট করে, মায়াবী সুরের মূর্ছনাতেও মানুষ মুগ্ধ হয় মুহূর্তের পর মুহূর্ত। কারও মধ্যে যদি উভয় সত্তার মেলবন্ধন ঘটে, তাহলে কেমন হবে? ফুটবল ও সংগীত—দুটোতেই সিদ্ধহস্ত, এমন কয়েকজন ‘বিরল প্রতিভা’র কথাই বলা হবে এখানে।পিওতর চেকমাথায় কালো মাস্ক মুড়িয়ে পিওতর চেকের প্রধান কাজ চেলসির গোলপোস্ট সুরক্ষিত রাখা। মাঠে যে হাত সদা তত্পর বল আটকাতে, অবসরে সেই হাতেই ওঠে ড্রাম স্টিক। কাঠির তালে বেজে ওঠে ড্রামের ঝংকার! কারণ, পিওতর চেক যে এডি স্টোইলো ব্যান্ডের ড্রামার! কয়দিন আগেই সখ্য হয়েছে জগদ্বিখ্যাত ব্যান্ড কুইনের ড্রামার রজার টেইলরের সঙ্গে। বোঝাই যাচ্ছে তাঁর লক্ষ্য অনেক দূরে। ‘অনেক দিন ধরেই বাড়িতে আমার এক সেট ড্রাম রয়েছে। আমি সেটা বাজাতে ভীষণ মজা পাই’, বললেন চেক। নতুন কিছু গানের তৈরির কথা ভাবছে তাঁর ব্যান্ড। ২০০৪ সালে প্রতিষ্ঠিত এডি স্টোইলো এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি কনসার্টও করে ফেলেছে।|অ্যালেক্সি লালাসযুক্তরাষ্ট্রের হয়ে খেলেছেন ১৯৯৪ ও ১৯৯৮ বিশ্বকাপ। মেজর লিগ সকার তারকা অ্যালেক্সি লালাস রক গায়ক হিসেবেও পরিচিত। জীবনে নাকি ফুটবলের চেয়ে গানের পেছনেই বেশি সময় ব্যয় করেছেন তিনি। কেবল ভালো গাইতে পারেন না, ভালো গিটারও বাজান। তাঁর প্রথম একক অ্যালবাম ‘জিঞ্জার’ বেরিয়েছিল ১৯৯৮ সালে। এ পর্যন্ত তিনটি অ্যালবামও বেরিয়েছে।পল ‘গাজ্জা’ গ্যাসকোয়েনস্ত্রী নির্যাতন, মাত্রাতিরিক্ত সুরাসক্তি এবং নানা রকম অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের কারণে প্রায়ই সংবাদ শিরোনাম হন সাবেক ইংলিশ ফুটবল তারকা পল গ্যাসকোয়েন ওরফে গাজ্জা। তাঁর ফুটবল প্রতিভা নিয়ে সংশয় ছিল না কারও। খেলেছেন নিউ ক্যাসল, টটেনহাম ও লািসওর মতো ক্লাবে। ফুটবল প্রতিভা, উচ্ছৃঙ্খল জীবন তো বটেই তিনি সংবাদ শিরোনাম হন সংগীতগুণের কারণেও! নব্বই দশকের শুরুতেই একক অ্যালবাম বেরিয়েছিল। রীতিমতো হিটও হয়েছিল। তাঁর ‘ফগ অব দ্য টাইন’ গান তো ওই সময় টপ চার্টের দুই নম্বরে ছিল!অ্যান্ডি কোলসাবেক ম্যানইউ তারকা কোলের ফুটবল সত্তার সঙ্গে পরিচয় রয়েছে অনেকের। কিন্তু তিনি যে দারুণ সুর তুলতে পারেন গলায়, সেটি কি জানা আছে? তাঁর প্রথম ও শেষ একক অ্যালবাম বের হয় ১৯৯৯ সালে। ১৯৮২ সালে ‘গ্যাপ ব্যান্ডে’র ‘আউটস্ট্যান্ডিং’ গানটি গেয়েছিলেন। গানটি রীতিমতো হইচই ফেলে দিয়েছিল চারদিকে।স্লাভেন বিলিচক্রোয়েশিয়ার স্টাইলিশ কোচ হিসেবেই অধিক পরিচিত ছিলেন। খেলোয়াড় ও সমর্থকদের উজ্জীবিত করার আরেকটি মন্ত্রও জানা ছিল বিলিচের। সেটি হচ্ছে গান। ক্রোয়েশিয়ার অন্যতম জনপ্রিয় ব্যান্ড রব্যুর প্রধান গায়ক ও লিড গিটারিস্ট বিলিচ একই সঙ্গে গীতাকারও। ২০০৮ সালের ইউরো কাপে ক্রোয়েশিয়ার সমর্থকদের জন্য একটি গান তৈরি করেছিল রব্যু ব্যান্ড। গানটি সে সময় ক্রোয়েটদের মধ্যে ভীষণ সাড়াও ফেলেছিল।কেভিন কিগানছিলেন ইংল্যান্ড জাতীয় দলের কোচ। সামলেছেন নিউক্যাসল ইউনাইটেড, ফুলহাম ও ম্যানচেস্টার সিটির মতো বড় ক্লাব। ফলে কোচ হিসেবে কিগানের সুনাম নেহাত কম নয়। কেবল দল সামলাতেই পারঙ্গম নন, কণ্ঠে মধুও রয়েছে তাঁর! গাইতে পারেন বেশ। ক্রিস নরম্যান ও পিট স্পেন্সারের লেখা তাঁর বিখ্যাত গান ‘হেড ওভার হিলস ইন লাভ’ মুক্তি পেয়েছিল ১৯৭৯ সালের ৯ জুন। গানটি যুক্তরাজ্যের টপচার্টে ৩১ নম্বরে ঠাঁই করে নিয়েছিল সেবার। মাঝে ব্যান্ড তারকা স্পিন্সারের সঙ্গে জার্মানি পাড়ি জমিয়েছিলেন। জার্মানিতে স্পেন্সারের ব্যান্ড ‘স্মোকি’ আবার খুবই জনপ্রিয়। ফলে কিগানের গাওয়া গানটি যুক্তরাজ্যের তুলনায় জার্মানিতেই বেশি হিট হয়েছিল। একটা সময় বিদেশ বিভূঁই ছেড়ে স্বদেশে ফিরে আসেন। বের হয় তার দ্বিতীয় একক ‘ইংল্যান্ড’। এটির গায়ে অবশ্য ‘হিট’ তকমা লাগেনি।ক্লিন্ট ডেম্পসিযুক্তরাষ্ট্রের মিডফিল্ডার ও আমেরিকার মেজর লিগ সকারের সিয়াটল সাউন্ডার্স এফসির অধিনায়ক ক্লিন্ট ডেম্পসির সংগীত প্রতিভার কথা অজানা নয়। কেননা, ২০০৬ বিশ্বকাপে নাইকির প্রচারণার জন্য তৈরি জনপ্রিয় ‘ডোন্ট ট্রেড’ র্যাপ গানটি ছিল তাঁরই ফিচার করা। ডেম্পসি আমেরিকান হিপহপ মিউজিক জগতে বেশ জনপ্রিয়।শোনা যায়, সাবেক চেলসি তারকা দিদেয়ের দ্রগবা ও ফ্লোরেন্ত মালুদা নাকি ব্যান্ড দল গড়ে তুলেছেন। ব্যান্ডের গিটারে দ্রগবা আর ড্রামে মালুদা। যদিও এর সত্যতা এখনো খুঁজে পাওয়া যায়নি।
প্রধান বিরোধী দল বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে জাতীয় সংসদে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।একই সঙ্গে বিরোধীদলীয় নেতাকে উদ্দেশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তিনি জাতির স্বার্থে, দেশ ও জনগণের স্বার্থে যেকোনো ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত।গতকাল শনিবার স্থানীয় সময় বিকেল পাঁচটায় জাতিসংঘ বাংলাদেশ মিশনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে নিউইয়র্ক সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।বিরোধীদলীয় নেত্রীর উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘যুদ্ধাপরাধীদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করুন।সংসদে আসুন, পরিষ্কার করে বলুন কী চান।জাতির স্বার্থে, দেশ ও জনগণের স্বার্থে আমি যেকোনো ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত।’প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বিষয় নিয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে।এ ছাড়া জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুনের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাত্কারেও ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে।সংবাদ সম্মেলনে শেখ হাসিনা আরও জানান, জাতিসংঘ শান্তি মিশনে বাংলাদেশ থেকে আরও নতুন সদস্য যোগ দেওয়ার প্রস্তাব পাওয়া গেছে।আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশে পর্যাপ্ত পর্যবেক্ষক পাঠানোর জন্য জাতিসংঘের মহাসচিবের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।কলকাতায় ফিরে আসতে চেয়েও ফিরে আসতে পারলেন না মান্না দে। চলে গেলেন চিরকালের জন্য। সুদূর বেঙ্গালুরু থেকে শেষ বিদায় জানালেন—বিদায় কলকাতা, গুডবাই। অনেক দিন ধরে জমে থাকা মান-অভিমানকে সঙ্গে নিয়েই পরপারে পাড়ি দিলেন মান্না দে।মান্না দে জন্মেছিলেন এই কলকাতা শহরেই; ১৯১৯ সালের ১ মে। পড়াশোনা, শৈশব কলকাতায়ই। সংগীতে হাতেখড়ি কাকা কৃষ্ণ চন্দ্র দের কাছে। সংগীত পরিবারে জন্মে শেষ পর্যন্ত পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন সংগীতকেই। যদিও কলকাতার বিদ্যাসাগর কলেজে পড়ার সময় ভারতের সেরা কুস্তিগির হওয়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। ছিলেন রাজ্যস্তরের একজন কুস্তিগিরও। সেরা কুস্তিগির হওয়ার জন্য কলেজে প্রতিযোগিতায়ও লড়েছেন তিনি। কিন্তু সংগীতের জন্য কাকার অনুপ্রেরণা তাঁকে এই পথ থেকে সরিয়ে নেয়। ১৯৩৬ সালে ম্যাট্রিক পাস করে ভর্তি হন কলকাতার স্কটিশ চার্চ কলেজে। ১৯৩৭ সালে কলেজের সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় প্রথম সংগীত পরিবেশন করেন। সেরা হন। শুরু হয় তাঁর সংগীতজীবন। গানের সুরও দেওয়া শুরু করেন তিনি। কলকাতার ইন্দুবাবুর পাঠশালায় পড়ার সময় শিশুশিল্পী হিসেবেও সংগীত পরিবেশন করেছিলেন।১৯৪২ সালে কাকা সংগীতাচার্য কৃষ্ণ চন্দ্র দের হাত ধরে তিনি প্রথম পাড়ি দেন মুম্বাইয়ে। ছিলেন কাকার সহকারী। শুরু করেন সংগীতজীবন। ১৯৪৩ সালে কৃষ্ণ চন্দ্র দের সংগীত পরিচালনায় নির্মিত তামান্না ছবিতে প্রথম সুরাইয়ার সঙ্গে কণ্ঠ দেন। তারপর একই বছর রামরাজ্য ছবিতে এককভাবে নেপথ্য কণ্ঠ দেন। আর ১৯৫২ সালে ভি শান্তারামের মারাঠি ও বাংলা দ্বিভাষিক ছবি অমর ভূপালিতে প্রথম বাংলায় কণ্ঠ দেন। এভাবেই যাত্রা শুরু করেন মান্না দে।ভারতের সংগীত ভুবনে তৎকালীন তিন তারকা মহম্মদ রফি, মুকেশ আর কিশোর কুমারের সঙ্গে লড়াইয়ে নামেন মান্না দে। তখন এই চার শিল্পীর সংগীতের দাপট ভারতজুড়ে।মুম্বাই থেকে মান্না দে যে যাত্রা শুরু করেছিলেন, তা শেষ করে দিলেন কর্ণাটক রাজ্যের রাজধানী বেঙ্গালুরুতে। বেঙ্গালুরু থেকেই তিনি শেষ বিদায় জানালেন কলকাতাবাসীকে। অনেক স্বপ্ন ছিল মান্না দের। মাঝজীবনে নিজের শহর কলকাতায় এসে থাকতে চেয়েছিলেন। কিন্তু কলকাতা আর তাঁকে আপন করে নেয়নি। ক্ষোভে, দুঃখে, মান-অভিমানে ছেড়ে গেলেন কলকাতা। শেষ জীবন কাটালেন নিজের ছোট মেয়ে সুমিতা দেবের বেঙ্গালুরু শহরের কল্যাণ নগরের বাসভবনে। এখান থেকেই চির বিদায় নিলেন তিনি।যদিও মৃত্যুর পর পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে কয়েক ঘণ্টার জন্য মরদেহ কলকাতায় আনতে চেয়েছিলেন, কিন্তু রাজি হননি কন্যা সুমিতা।মান্না দে কলকাতায় স্থায়ীভাবে থাকা এবং এখানে একটি সংগীত একাডেমি গড়ার জন্য এক টুকরো জমি চেয়েছিলেন রাজ্য সরকারের কাছে। কিন্তু সাবেক পশ্চিমবঙ্গ সরকার তাঁর সেই আবেদন রাখেনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসার পর মান্না দেকে বঙ্গবিভূষণ সম্মানে ভূষিত করলেও তাঁকে জমি দেওয়ার কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেননি। বলেছিলেন, প্রয়োজনে তাঁকে তাঁর কালীঘাটের বাসভবনে রাখবেন। চিকিৎসা করাবেন।এসব ঘটনায় প্রচণ্ড আঘাত পান মান্না দে। তারপরই কলকাতা থেকে ফিরিয়ে নেন মুখ।কেরালার সংগীতশিল্পী এবং মান্না দে তাঁর গানের ছাত্রী সুলোচনা কুমারনকে ভালোবেসে ১৯৫৩ সালে বিয়ে করেছিলেন। বিয়ের পর অবশ্য সুলোচনা নিজের সংগীত চর্চা ছেড়ে বরং স্বামীর সংগীত চর্চার দিকে বেশি মনোযোগ দিয়েছিলেন। লক্ষ্য, স্বামীকে একজন বড় শিল্পী হিসেবে গড়ে তোলা। সত্যিই সুলোচনার সেই স্বপ্ন ্পূরণ হয়েছে। এ বছরই জানুয়ারি মাসে সুলোচনা চলে গেলেন পরপারে। রেখে যান দুই কন্যা সুরমা ও সুমিতাকে। সুমিতা থাকছেন বেঙ্গালুরুতে। আর সুরমা থাকছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে।নারী ও মেয়ে—এই দুটি শব্দের মধ্যে সূক্ষ্ম একটা পার্থক্য রয়েছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে তা মানুষের দৃষ্টি এড়িয়ে যায়। ভারতের মতো পুরুষতান্ত্রিক সমাজে পুরুষ সব সময় পুরুষ। এ ছাড়া অন্য কোনো দৃষ্টিতে দেখার সুযোগ নেই। কিন্তু নারীর বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ‘নারী’ নয়, মেয়ে। ‘আরে ও তো মেয়ে মানুষ’—দৃষ্টিভঙ্গিটাই যেন এমন।শিক্ষার অভাব, দৃষ্টিভঙ্গির ভিন্নতা বা সম্মান দেখানোর অবস্থান থেকে নারী সচেতন বা অবচেতনভাবে ‘মেয়ে’ পরিচয়ে পরিচিত হন সমাজের কাছে। ভারতের সমাজে পুরুষ ও নারীর অবস্থান নিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার বিশ্লেষণধর্মী একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বিবিসি অনলাইন।প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতের কোনো খবরের সাইট পড়লে বা টেলিভিশন চ্যানেল দেখলে একাধিক নারী নির্যাতন বা হয়রানির খবর পাওয়া যায় না, এমনটা হয় না। গত বছরের ডিসেম্বরে দিল্লিতে চলন্ত গাড়িতে গণধর্ষণের শিকার হয়ে মেডিকেলছাত্রী নিহতের ঘটনা দেশটিতে যৌন হয়রানির ব্যাপকতাকে বিশ্বব্যাপী তুলে ধরে। সাম্প্রতিক সময়ে দেশটির প্রভাবশালী সাপ্তাহিক ‘তেহেলকা’র প্রতিষ্ঠাতা তরুণ তেজপালের বিরুদ্ধে একটি অনুষ্ঠান চলাকালে দুইবার যৌন হয়রানির অভিযোগ তুলেছেন ওই প্রতিষ্ঠানের এক নারী সাংবাদিক। এর জের ধরে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হচ্ছেন তরুণ তেজপাল। এ ছাড়া তাঁকে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান সম্পাদকের পদ থেকে ছয় মাসের সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়।তবে উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে, এই দুটি ক্ষেত্রেই হয়রানির শিকার নারীদের ‘নারী’ নয়; ‘মেয়ে’ হিসেবে উপস্থাপন করেছে গণমাধ্যম। যদিও তাঁদের বয়স ১৮ বছরের বেশি। কিন্তু সমাজের প্রতিচ্ছবি ফুটে ওঠার স্থান হিসেবে পরিচিত গণমাধ্যম তাঁদেরকে ‘অল্প বয়সী নারী’ বা ‘নারী’ হিসেবে তাঁদের অবস্থান তুলে ধরে না।নারীকে মেয়ে হিসেবে চিত্রিত করার পেছনে বহু যুগের সংস্কৃতি একটা ভূমিকা পালন করে বলে মন্তব্য করেছেন সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত নারীদের সহায়তায় কাজ করা মৈত্রী চ্যারেটির উইন সিং।বহু ধর্ষণ মামলার দিল্লিভিত্তিক আইনজীবী রেবেকা জন মনে করেন, পিতৃতান্ত্রিক সমাজে নারী ও তাঁদের ভূমিকাকে কীভাবে দেখা হয়, শব্দগুলো প্রয়োগের মাধ্যমে তা প্রকাশিত হয়। এই শব্দপ্রয়োগের মাধ্যমে নারীর অধস্তন ভূমিকাকে সামনে নিয়ে আসা হয়।মানবাধিকারবিষয়ক আইনজীবী ব্রিন্দা গ্রোভার বলেন, হয়রানির শিকার নারীকে ‘মেয়ে’ হিসেবে চিত্রিত করে এটা বোঝানো হয় যে তাঁর সুরক্ষা প্রয়োজন এবং তাঁরা নিজের হয়ে লড়তে পারেন না। এ ব্যাপারে উইনি সিংয়ের বক্তব্য, নারীকে ‘মেয়ে’ উল্লেখ করে দেখানো হয় তিনি প্রাপ্তবয়স্ক হননি। তাঁর সাক্ষ্য ও বিচারিক ক্ষমতা পুরুষের মতো গুরুত্ব বহন করে না।দিল্লিতে গণধর্ষণে মেডিকেলছাত্রী নিহতের ঘটনার পর ভারতের নারীরা এ ব্যাপারে প্রতিবাদমুখর হয়েছেন। তাঁরা এখন হয়রানি বা নিপীড়নের শিকার হলে তার বিরুদ্ধে সোচ্চার হচ্ছেন। তেহেলকার প্রতিষ্ঠাতার বিরুদ্ধে নারী সাংবাদিকদের অভিযোগ তোলার ঘটনা সেটারই প্রমাণ দেয়।তবে আত্মবিশ্বাসী ও স্বাধীন নারীদের সামলানোর ক্ষেত্রে ভারতকে আরও বহু দূর যেতে হবে বলে মনে করেন আইনজীবী রেবেকা। কারণ সমাজ এখনো নারীর ভূমিকা ঠিক করে উঠতে পারেনি। যদিও এ দেশের শাসন ক্ষমতায় নারী বসেছিলেন অন্য অনেক দেশের চেয়ে আগে, এমনকি এখনো ক্ষমতার কেন্দ্রে আছেন সোনিয়া গান্ধী, সুষমা স্বরাজ, মীরা কুমারের মতো নারীরা।   ছেলের বয়স ২৫, মেয়ের ৩৭। তাঁদের দাবি, তাঁরা বিয়ে করেছেন। কিন্তু প্রতিবেশীরা মানতে নারাজ। প্রতিবেশীরা তাঁদের মেলামেশাকে অসামাজিক ঘোষণা দিয়ে দুজনকে বেঁধে গলায় জুতার মালা পরিয়ে দিয়েছেন। মারধরও করেছেন। গতকাল রোববার রাজশাহী নগরের ভাটাপাড়া এলাকায় শত শত মানুষ দাঁড়িয়ে এ দৃশ্য দেখেছেন। কিন্তু কেউ তাঁদের উদ্ধার করতে এগিয়ে আসেননি।তখন মেয়েটা চিৎকার করে বলেন, ‘আমরা একসঙ্গে আত্মহত্যা করে তোমাদের বুঝিয়ে দেব।’ ছেলেটির নাম রুবেল আলী। রুবেল নগরের ডিঙ্গাডোবা এলাকার মুনসুর আলীর ছেলে।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওই নারীর আগে একবার বিয়ে হয়েছিল। ওই পক্ষের তিনটি সন্তান রয়েছে। ১৫ দিন আগে স্বামীর সঙ্গে তাঁর ছাড়াছাড়ি হয়েছে। গত কয়েক দিন ধরে রুবেল ও নিলুফা একত্রে বসবাস করছেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে এলাকাবাসী গতকাল দুপুরে ভাটাপাড়া এলাকায় ওই দুজনকে বেঁধে মারধর ও তাঁদের গলায় জুতার মালা পরিয়ে দেন। সাংবাদিকেরা ওই দুজনকে ছেড়ে দিতে বললে এলাকাবাসী তা মানেননি। বরং তাঁরা জানান, স্থানীয় কাউন্সিলর এলে এর ফয়সালা হবে। এরপর তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হবে।এ সময় রুবেল সাংবাদিকদের জানান, তাঁরা কোনো অসামাজিক কাজ করেননি। বিয়ে করেছেন। হুমায়ুন নামের এক কাজী তাঁদের বিয়ে রেজিস্ট্রি করেছেন। চাইলে প্রমাণ দিতে পারবেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক যুবক জানান, তিন দিন ধরে রুবেল বাড়িতে ছিলেন না। ওই মেয়ের কাছে তাঁকে পাওয়া গেছে। ওখান থেকে তাঁর পরিবারের লোকেরাই তাঁকে ধরে এনেছেন। এলাকার লোকজনের হাতে তুলে দিয়েছেন। এলাকার লোকজন তাঁদের বিচার করবেন।জানতে চাইলে স্থানীয় ৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর নূরুজ্জামান জানান, আটকের বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না। পরে শুনেছেন। তিনি আসার আগেই তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে এভাবে কেউ কাউকে সাজা দিতে পারেন না। এটা অমানবিক।
ব্রিটিশ রাজপরিবারের সাবেক রাজবধূ প্রিন্সেস ডায়ানা তাঁর জীবন নিয়ে শঙ্কায় ছিলেন। আর এ কারণেই বড় ছেলে প্রিন্স উইলিয়াম ও তাঁর ভবিষ্যত্ স্ত্রীর উদ্দেশে একটি গোপন টেপে বার্তা রেকর্ড করেছিলেন বলে গণমাধ্যমে খবর বেরিয়েছে।ডায়ানার এই গোপন টেপের অস্তিত্ব প্রথম আবিষ্কার করে মার্কিন সাময়িকী ‘গ্লোব’। ডায়ানার এক ঘনিষ্ঠ বন্ধুর বরাত দিয়ে সাময়িকীটি এ তথ্য জানায়।ব্রিটিশ দৈনিক ‘ডেইলি স্টার’ জানায়, সন্তানদের পাশে না থাকলে তখন তাদের কে নির্দেশনা দেবে—এমনটা ভেবেই মা হিসেবে ডায়ানা তাঁর উপদেশমূলক ওই টেপটি তৈরি করেছিলেন।খবরে বলা হয়, নিজের শত্রু এবং মৃত্যুর বিষয়ে ডায়ানা উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছিলেন। এ কারণে অত্যন্ত গোপনীয়তার সঙ্গে উইলিয়াম, তাঁর ভবিষ্যত্ স্ত্রী ও সন্তানদের প্রতি উপদেশমূলক বার্তা একটি টেপে ধারণ করেন ডায়ানা। ওই বার্তায় ডায়ানা বলেন, ‘তোমার সন্তানদের আমার ভালোবাসা জানিয়ো। তাদের বোলো, আমার ভালোবাসা ও শুভকামনা সব সময় তাদের সঙ্গে থাকবে।’ডায়ানা কখনোই উইলিয়ামের স্ত্রী কেট মিডলটনকে দেখেননি। কিন্তু তা সত্ত্বেও নিছক কল্পনার জোরে তিনি গোপন টেপের বার্তায় বলেছেন, ‘আমি অবশ্যই তোমাকে স্নেহ করতাম এবং খুব দ্রুতই আমরা বন্ধু হয়ে উঠতাম। তুমি অবশ্যই বিশেষ কেউ একজন, তা না হলে তুমি উইলিয়ামের স্ত্রী হতে না।’এ টেপের বিষয়টি ফাঁস হওয়ার ফলে ডায়ানার মৃত্যুরহস্য উদঘাটনের ক্ষেত্রে নতুন মাত্রা যুক্ত হবে বলে গণমাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে।দেশের অভ্যন্তরীণ নদীপথে পরীক্ষামূলকভাবে প্রথমবারের মতো কনটেইনার পরিবহন শুরু হয়েছে। গতকাল বুধবার চট্টগ্রাম থেকে ঢাকার পানগাঁওয়ের উদ্দেশে খালি কনটেইনার নিয়ে একটি ও কনটেইনার ছাড়া আরেকটি জাহাজের যাত্রার মধ্য দিয়ে এই কার্যক্রম শুরু হলো।বন্দরসচিব সৈয়দ ফরহাদ উদ্দিন আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, এত দিন দেশের অভ্যন্তরে শুধু সড়ক ও রেলপথে কনটেইনার পরিবহন হতো। নতুন এ সেবা কার্যক্রম পুরোদমে চালু হলে পণ্য পরিবহনে আরও একটি বিকল্প মাধ্যম হাতে পাবেন ব্যবসায়ীরা।বন্দর সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বুধবার স্থানীয় সময় ভোর চারটা ৫০ মিনিটে প্রথম জাহাজ ‘পানগাঁও এক্সপ্রেস’ ১২০টি খালি কনটেইনার নিয়ে চট্টগ্রামের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনালের এক নম্বর জেটি ছেড়ে যায়। আর পাঁচটার দিকে ‘পানগাঁও সাকসেস’ নামে আরেকটি জাহাজ কনটেইনার ছাড়াই যাত্রা করে। জাহাজ দুটির সঙ্গে রয়েছে ‘কান্ডারি-৯’ ও জরিপ-৯ নামের দুটি উদ্ধারকারী জাহাজ।আগামী ৭ নভেম্বর ঢাকার অদূরে বুড়িগঙ্গা নদীতীরে কেরানীগঞ্জের পানগাঁও নৌ-টার্মিনাল উদ্বোধন করার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। এ জন্য আগেভাগেই জাহাজগুলো সেখানে পাঠানো হয়েছে।জানা গেছে, পানগাঁও টার্মিনালে বছরে মোট এক লাখ ১৬ হাজার একক কনটেইনার ওঠানো-নামানো যাবে। প্রায় ৩২ একর জায়গার ওপর স্থাপিত এ টার্মিনাল ও চট্টগ্রাম বন্দরের মধ্যে কনটেইনার আনা-নেওয়ার জন্য তিনটি জাহাজ সংগ্রহ করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। ‘পানগাঁও ভিশন’ নামের অপর জাহাজটি আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে দুবাই থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে আনা হবে।এদিকে বন্দর কর্তৃপক্ষ অভ্যন্তরীণ নৌপথে কনটেইনার পরিবহনের জন্য ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ইতিমধ্যে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়েছে।আশ্বিন মাসের শেষ দিনের উৎসব হয় রাতের। কিন্তু মিয়াবাড়ির উঠোনে দুপুর রোদে গোবর-মাটির প্রলেপে গোল চক্রাকৃতির মসৃণতা তৈরি করে ময়না। চারটা কলাগাছের খুঁটি চারদিকে মাটি খুঁড়ে বসিয়ে দেয় সিরাজ, ফেদু, জরি আর মমেনা। সবই গাশিশর আয়োজন। এই সব জোগাড় না হলে গাশিশর রাত আর গাশিশর রাত হয়ে ওঠে না, জমে ওঠে না সবার অপেক্ষার আসর। অনেকে মনে করে গভীর রাতেই উৎসবের শুরু। কিন্তু সন্ধ্যা রাতের চক্রটা আরও বড়, সারা বাড়িজুড়ে, এমনকি বাড়ির সামনে হালট ধরে নদীর পাড় পর্যন্ত।আয়োজনের নেতৃত্বে ময়না। সেঝো মিয়ার মেয়ে সে, গ্রামের হিসাবে বিয়ের বয়স পার হয়ে যায়। বাড়ির ছোটদের নিয়ে দৌড়ঝাঁপে জোগাড়যন্ত্র সেরেছে। এবার আলা মিয়া বাড়িতে থাকায় সবাই খুশি। সে থাকলে আসর জমে। দু-মাস পর বাড়ি ফিরেছে সে। কৃষক ঘরের বিবাগী মানুষ আলা। চাষে মন নাই, কখনো যাত্রা দলের সঙ্গে কখনো বা জারি গানের দলের সঙ্গে নিরুদ্দেশ হয়। ফিরে আসে ভিনদেশি গল্প নিয়ে।চক্র সাজানো হয়েছে নকশি কুলা-ডালায়, তাতে পাটের আঁশ, পিপলের পাতা, কাঁচা হলুদ, হলুদের ফুল, তুলসীপাতা, নিমপাতা, বেতের ডগা, দূর্বা, নারকেলসহ নানা লতাপাতার জোগাড়। মিয়াবাড়ির রাখাল জয়েদ আলী জমিয়ে রাখা তালের আঁটি কেটে ভেতরের শাঁস বের করেছে। বাড়ির সব ছেলেরা বসে আড্ডা-গান আর পাশা খেলবে, এমনকি নারীরাও কেউ কেউ জমায়েত হয়। সারা রাত পাহারা দিতে হবে, আজ বাড়িতে যেন চুরি না হয়।চোরদের চুরির কারবারির ভূতভবিষ্যৎও আজকের ওপর নির্ভর করে, তাই রাতজাগা এই আসর। চোররা আজ কবরের মাটি চুরি করবে। সে মাটি সিঁধ কাটার আগে যদি গেরস্থের টিনের চালে ছিটিয়ে দেওয়া যায়, তবে নিশ্চিত কবরের লাশের মতো নিশ্চুপ ঘুমে রাত পার করবে গেরস্থ। এসব গল্প গ্রামের কে না জানে। প্রতিবছরই তারা এই আশ্বিনের রাতে আসর জমায়, জোলাভাতি করে। আশ্বিনের রান্না খাবার কার্তিকের সকালে খেয়ে রোগবালাই দূর করে ফলবান হয়ে উঠবে কৃষক। এটাই গাশিশর নিয়ম।রাত হতেই ছেলেপেলেদের সঙ্গে কুলা হাতে বেরিয়েছে ময়না। তার কালো গায়ে লাল ডোরা দাগের শাড়ি, হাতে মনোহারির লাল বালা। কানে সোনালি রঙের বাউটি। কালো তাগার সঙ্গে একটি মাত্র সোনার ধান তাবিজে পূর্ণিমার আলোয় ঝকমক করে কণ্ঠার হার। আজকে তাকে হেমিলিনের বাঁশিওয়ালার মতো লাগে। সারা বাড়ির সে চক্করে তার সঙ্গে ফেদু, লাইলি, মমেনা, আক্তার ও সিরাজরা। তাদের হাতে নানা অনুষঙ্গ, বাচ্চারা কলাপাতার বাঁশিতে ফুঁ দিতে থাকে। কুলা পেটাতে পেটাতে সুর তোলে—ভূত আমার পুত,পেতনি আমার ঝি।বুকে আছে আল্লা-নবী,ভূতে করব কী?ভূত তাড়ানো শেষে হলে হালট ধরে নদীর পাড়ে যেতে যেতে আবার কুলা-ডালায় বাড়ি পড়ে। সম্মিলিত সুরে চলে ছড়া—গাশিশ জাগো জাগোভ্যালা কইরা জাগোইঁচার গুদা, ফলসির গুদাঢোল বাজাও গ্যাদক্ষিণ মুরা।ডুম ডুম করে কুলা-ডালা বাজিয়ে তারা বাড়ির আম-কাঁঠাল-নারকেলগাছের কাছে যায়। যেসব গাছে ফল হয় না তার গোড়ায় পাটের আঁশ বাঁধে। আথালের গাছে পাট বাঁধা শেষ করে দাঁড়াতেই বলাই মাঝির বউকে দেখতে পায় ময়না। বলাইয়ের বউ হাসতে হাসতে বলে, ‘আইলো ময়না, আইজ তোর ঠ্যাঙ্গেও পাট বাইন্ধা দিই। আর বছর গাশিশ আওনের আগে যাতে তোর বিয়ার ফুল ফোটে।’ময়নার কালো মুখে যে উৎসবের আলো জ্বলে উঠেছিল সেটি সহসা নিভে যায়। ফেদু তা দেখে বলে, ‘জমলা দাদি তুমার এত ঠ্যাহা ক্যান? হেই কি তোমারডা খায় না পরে?’জমিলা বিদ্রূপের হাসি হাসে, ‘ওলো মাগি, তুই তো দেহি ডাগর হইয়া গ্যাছোস। টরটর কইরা কথা কস।’মমিনা জমিলাকে প্রায় ধাক্কা দিয়ে বলে, ‘যাও তো তুমি, পোলাপানের পিছনে তোমার এত কী কাম।’তারা সবাই জমিলাকে পাত্তা না দিয়ে নিজেদের চক্কর শেষ করে। জোলাবাতির রান্নাও শেষ। বাড়ির সব ঘর থেকে মুষ্টির চাল জোগাড় করে তারা জোলাবাতির রান্নায় জরিনাকে বসিয়ে গিয়েছিল। কাল সকালে সবাই এই রান্না খাবে। কিন্তু ময়নার মুখটা সেই থেকে থমথমে।এবাড়ি-ওবাড়ি ভিন্ন ঘর ভিন্ন চুলা হলেও পূর্ণিমা রাতে চাঁদের আসরের কোনো দ্বিভাজিত আল নেই। উঠোনের একপাশে দাঁড়িয়ে থাকা খড়ের গাদাও শরিক আলো-আঁধারির আসরে। ইতিমধ্যে লোকজন গোল হয়ে বসে যায়, গোল আরও হয়—গোল হয় পূর্ণ বয়স্ক চাঁদ। ময়না দেখে মেঝো মিয়ার বাড়ির লজিং মাস্টার লিয়াকত আসরের কোণে বসা। কয়েক মাস হলো আক্তারকে পড়াতে এ বাড়িতে ঠাঁই করে নিয়েছে সে। ময়না তাকে নদীর ঘাটে নাইতে দেখেছে, কাছারিতে বসে বই পড়তে দেখেছে। চোখাচোখি হলেও কখনো কথা হয় নাই।সবাই আলা মিয়ার মুখের দিকে চেয়ে। সে চোখ বন্ধ করে বিড়িতে দীর্ঘ টানের জমা ধোঁয়া সমবেত সবার উদ্দেশ্যে ছড়িয়ে গেয়ে ওঠে—জ্যৈষ্ঠ মাসের বিষুদবারেবাজানে না আইল...লাল ভিটার নয়া কাঁঠালজামাইয়ে না খাইল...ও সখী বাজানে না আইলগান থামিয়ে আলা মিয়া সবার দিকে তাকায়। লিয়াকত আড়ে-আড়ে ময়নাকে দ্যাখে, কালো দেহে সোনার তাবিজ চাঁদের আলোয় ঝকমক করে। আলা খানিক দম নিয়ে বলে, ‘বিষুদবারের পর বিষুদবার যায়...।’ সে এবার গানের রেশ ধরে আখ্যানে ঢোকে, ‘বিষুদবারের পর বিষুদবার যায়, নয়া বউ বেড়ার ফাঁক দিয়ে দ্যাখে বৈঠার টানে একে একে সব কেরাই নাও হঁইটা চইলা যায়। ঘাটে ভেড়ে না। কন্যার মন সারা দিন আইটাই আইটাই করে...এই বুঝি একখান নাও ভেড়ে। কিন্তু না, কোনো নাও সে ঘাটে ভেড়ে না।’এই পর্যন্ত বলে আলা মিয়া সোজা চেয়ে থাকে আকাশে চাঁদের দিকে।উপস্থিত সবার চোখে তখন মাটিলেপা উঠান পেরিয়ে বাঁশের বেড়ার ফাঁকে বিষাদগ্রস্ত নয়া বউ ভাসে। আনমনা ময়না দ্যাখে, লজিং মাস্টারের চোখ দুটো তার মুখে কী যেন খুঁজে ফিরছে। কেউ বা ঘোমটার ভেতর থেকে বেরিয়ে আসা বিষাদময় ছবি দেখতে পায়—আলা মিয়ার চিবুকের দিকে তাকিয়ে, জয়েদ আলীর দাড়ির দিকে তাকিয়ে কিংবা খড়ের গাদার আড়ালে, এমনকি চাঁদের দিকে তাকিয়ে কেউ দেখে বিষাদ মুখ!আসরে বসা ছবির মুন্সি গলা খাঁকারি দেয়—‘আহা রে...।’ তারপর মসৃণ হুঁকো গুড়গুড় শব্দে টানে। হুঁকোর মাথায় আগুন জ্বলে উঠলে সেই আলোয় সবার চোখে ধরা পড়ে আকাশে চাঁদের মুখেও বিষাদের ছায়া, নাওয়ের দুলুনি।আলা মিয়া সে বিষাদকে বাড়াতেই যেন বউয়ের পরিচয়টা আরও খোলাসা করতে চায়, ‘এক জোষ্টিও যায়নাইকা, কইন্যার বিয়া হইচ্ছে। গ্যাছে বছরও সখীগো লগে নিয়া লাল ভিটায় আম কুড়াইছে, সিঁদুরে আম, কাঁচামিঠ্যা আর গুটিপোকা আম। কইন্যা নিশ্চিত এই বছর লাল ভিডায় কাঁডাল ধরছেই। তার নিজে হাতে লাগানো গাছখান...।’—বলতে বলতে আলা মিয়া সুদূরে তাকায়। তাকে লক্ষ করে সবাই চেয়ে থাকে সুদূরের দিকে। কতক্ষণ...। সবাই কেমন অস্থির হয়ে ওঠে। বাসু মাঝির তর সয় না, বলে, ‘নয়া বিবির তারপর কী হইল?’লজিং মাস্টার লিয়াকতের চোখ আবার ময়নার চোখে পড়লে মাথা নামিয়ে মাটিতে আঁকিবুঁকি কাটে ময়না। তার মনে হয়, নয়া বউয়ের কষ্টকে সে আঁকড়ে ধরতে পারত! সে ভাবে, ভিন গাঁয়ে বউ হয়ে যাওয়ার সময় আঁচল ভরে মায়া নিয়ে যাবে, নয়া বউয়ের মতো দুঃখে ভাসবে। অস্ফুট স্বরে বলে, ‘আ দুইখঃ!’আলা মিয়া বলে, ‘নয়া বিবির চোখে জল। বাজানে না আসে। মাচায় বিরাট কোলায় বাদা ধানের হুড়ুম ভরা, কাঁডাল আইলে না মিয়ারে দিবো খাইতে। নয়া বিবির কেবল কাঁডালের হাউস না, হাউসের মইধ্যে হাউস থাকে। আহা রে বাবা-মার আদোইরা কইন্যা...।’—শেষ কথাটার মধ্যে হাহাকারের সুর রেখে, চোখেমুখে প্রচণ্ড কষ্টরেখা এঁকে সবার দিকে তাকায় সে। অনেকের কণ্ঠে তখন অস্ফুট স্বর, ‘আহা রে...।’দীর্ঘশ্বাসের মতো বিড়িতে টান দিতে দিতে আলা মিয়া বলে, ‘আদোইরা কইন্যা, সবে বিয়া হইচ্ছে, বছরও ঘুরে নাই। কইন্যার মাইরে দেখবার মন চায়, ভাইরে দেখবার মন চায়, সইয়ের লগে গপ্পো করবার মন চায়। মনডা তার আনচান। আহা রে জীবন...।’মমেনার চোখ টলমল করে, জয়েদ আলীর মুখে গড়িয়ে পড়ে পানি—সবার চোখে জীবন তখন হাহাকারময়। আলা মিয়ার দীর্ঘ উচ্চারণের উপস্থিত সবার চোখে নির্মম বেদনা হয়ে ভেসে বেড়ায় জীবন। ময়নার মনে হয়, আহা রে কী কষ্ট! আলা মিয়া সবার জীবনকে ভাসিয়ে দিয়ে ফিরে যায় নয়া বউয়ের জীবনে।—‘বাপে না আইলেও বিষুদবারের হাট থিকা নয়া বউয়ের লিগা বাতাসা কিইনা সোয়ামি ঘরে ফিরে।’ মুখে দুষ্টু হাসি টেনে আলা বলে, ‘বউ তখন স্বামী-সোহাগী।’ গেয়ে ওঠে—আরে না দেইহ্যা ছিলাম ভালোদেইহ্যা আমার কুল গেল।‘নয়া বউ সোয়ামিরে দেইখা কুলচিন্তা হারায়। কিন্তু আদর-সোহাগ শ্যাষেও কন্যার চোহে ঘুম নাই। পাশে সোয়ামি নাক ডাইকা ঘুমায়...। হের তহন আবার বাজানের কথা মন হয়।’এমন বিষাদমাখা নয়া বউয়ের গল্প জমে উঠলেও বাচ্চারা কেউ কেউ ঘুমিয়ে পড়ে। বড়দের কেউ গল্পের বাকি অংশ হয়তো শোনেও না, নিজের দুঃখের ভেলায় ভাসে। কেউ আবার লজ্জায় লাল, কাহিনিতে সোহাগী স্বামীর আগমনে। ময়নার কোলের মধ্যে আক্তার ঘুমিয়ে পড়েছে, তাকে ঘরে দিতে যাবে; কিন্তু নয়া বউয়ের গল্প থেকে উঠতে পারে না। তার পা অবশ হয়ে আসে।আলা মিয়া বলে, ‘জইষ্টো মাসে শেষদিন বাজানে তার আইলো। নয়া বউয়ের সোয়ামির তখন মাঠের খ্যাত-খামারির কামে রাত-দিন এক কইরা ফ্যালাইছে। মিয়ায় কয়, হেই বর্ষার কালে যাইবো। কন্যার তখন সোয়ামি ছাইড়া একা বাজানের লগে যাইবার মন চায় না, শাশুড়ি-ননদ বুঝাইয়া তারে নাওয়ে তুইলা দেয়।’ময়না আক্তারকে ঘরে নিয়ে যায়। ফিরতি পথে ভাইজানের ঘরের পাশে মেঝো মিয়ার ঘর। দুই ঘরের মাঝখানে যে ফান্দি, তার মধ্যে দিয়ে উঠানে আসতেই কার যেন ছায়া—ছায়া দেখা যায়। ময়নার ভয় ভয় লাগে, চোর না তো! ভীত কণ্ঠে সে বলে, ‘ক্যাডা?’ছায়া কাছে আসে, ময়না দু-পা পেছায়। ছায়া বলে, ‘চমকাইছোনি? আমি, আমি...লিকত।’ময়না চিনতে পারে লজিং মাস্টারকে। লিয়াকত হাসতে হাসতে বলে, ‘নয়া বউয়ের দুঃখ সইবার পারবা?’লজ্জায় মাথা নত করে ময়না। কানের কাছে মুখ নিয়ে লিয়াকত ফিসফিস করে, ‘আমাগো বাড়ির নয়া বউ হইবা?’ময়না দৌড়ে পালায়। সে আসরে ফেরে না। ঘরে এসে বিছানায় শুয়ে পড়ে। তার মা শুয়েছিল, তখনো ঘুমায়নি, আসর না ভাঙতেই ময়নাকে ফিরতে দেখে আবাক হয় সে! বলে, ‘ফাত কইরা হাইডা আইলি? কী হইছে?’—‘আলা ভাই নয়া বউয়ের কষ্টের কথা হুনাইলো।’—‘ধুর পাগলি, হেইয়া তো গপ্পো।’ময়না কিছু বলে না, তার ইচ্ছা করে আকাশে উড়াল দিতে। জানালার আর্শিতে দেখে পূর্ণিমার চাঁদের বুকে লিয়াকতের মুখ। সে চোখ বোজে, কানে বাজে—নয়া বউয়ের দুঃখ সইবার পারবা?সাম্প্রতিক এক গবেষণার ফল বলছে, যুক্তরাজ্যের অনেক তরুণ এখন ফেসবুক ছেড়ে দিচ্ছেন। কারণ? অনেকের মা-বাবাই এখন ফেসবুক ব্যবহার শিখে গেছেন। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ বিষয়ক গবেষকেরা জানিয়েছেন, তরুণদের মধ্যে ফেসবুক ব্যবহারের আগ্রহ কমে যাচ্ছে। ফেসবুক ফেলে সামাজিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে অন্যান্য সহজতর মাধ্যমগুলো এবং মেসেজিং অ্যাপ্লিকেশনের দিকে ঝুঁকছেন তাঁরা।যুক্তরাজ্যে পরিচালিত এক গবেষণায় গবেষকেরা দেখেছেন যে, স্ন্যাপচ্যাট, হোয়াটসঅ্যাপ ও টুইটারের দিকে ঝুঁকে পড়ার কারণে ফেসবুকে আগ্রহ হারাচ্ছে তরুণরা। এ খবরে এ তথ্য জানিয়েছে যুক্তরাজ্যের দ্য ইনডিপেনডেন্ট পত্রিকা।গবেষকেরা গ্লোবাল সোশাল মিডিয়া ইমপ্যাক্ট স্টাডি নামে সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইটের ব্যবহার নিয়ে একটি গবেষণা করেছেন।যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের গবেষক ড্যানিয়েল মিলার এ প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, এক সময় সন্তানদের ফেসবুকে যোগদানের ব্যাপারে অভিভাবককে উত্কণ্ঠায় থাকতে দেখা যেত এখন ঘটছে ঠিক এর উল্টো। অভিভাবকের নজরদারির ভয়ে তরুণরা ফেসবুক ছেড়ে দিচ্ছেন।গবেষক মিলার জানিয়েছেন, বর্তমানে অধিকাংশ অভিভাবক ফেসবুকের ব্যবহার শিখে গেছেন এবং তাঁরা এই সাইট থেকে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করতে পারছেন। অভিভাবকদের ফেসবুক ব্যবহারের হার যেমন বাড়ছে তখনই তরুণদের আগ্রহ কমছে এতে। তরুণদের কাছে ফেসবুক এখন মরুভূমিতুল্য।এই গবেষণায় অংশ নেওয়া যুক্তরাজ্যের তরুণদের অধিকাংশই স্বীকার করেছেন যে, প্রযুক্তি সুবিধার হিসেবে ফেসবুক এগিয়ে থাকলেও ফেসবুকে নতুন কিছু করার সুযোগ নেই বলে তরুণরা এটা ছেড়ে যাচ্ছেন। আবার অনেকে মা-বাবার নজরদারি থেকে বাঁচতেও ফেসবুক ছেড়ে দিচ্ছেন।
আদালত অবমাননা আইন, ২০১৩ অবৈধ ও সংবিধান-পরিপন্থী ঘোষণা করে দেওয়া হাইকোর্টের রায়ের কার্যকারিতা স্থগিতাদেশ চেয়ে করা আবেদন আগামী ৩ অক্টোবর আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠিয়েছেন চেম্বার বিচারপতি।আজ রোববার চেম্বার বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন স্থগিতাদেশ না দিয়ে বিষয়টি শুনানির জন্য নিয়মিত বেঞ্চে পাঠান।আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এম কে রহমান ও রিট আবেদনকারীর পক্ষে আইনজীবী মনজিল মোরসেদ শুনানি করেন।হাইকোর্টের রায়ের কার্যকারিতা স্থগিতাদেশ চেয়ে আজ সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড বখতিয়ার হোসেন আবেদনটি দায়ের করেন। আবেদনকারীরা হলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব, রাষ্ট্রপতির সচিবালয়ের সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব, আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব ও জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সচিব।গত বৃহস্পতিবার আদালত অবমাননা আইন, ২০১৩ অবৈধ ও সংবিধান-পরিপন্থী ঘোষণা করে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট।বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি এ বি এম আলতাফ হোসেন সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের বেঞ্চ এক রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে এ রায় দেন।চলতি বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদে আদালত অবমাননা আইন, ২০১৩ পাস হয়। ১৯২৬ সালের আদালত অবমাননার আইন রহিত করে ২৩ ফেব্রুয়ারি গেজেট প্রকাশিত হয়। আইনের ৪, ৫, ৬, ৭, ৯, ১০, ১১ ও ১৩(২) ধারার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত ২৫ মার্চ দুই আইনজীবী রিট আবেদনটি করেন।প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত ৩ এপ্রিল আদালত রুল জারি করেন। রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে গতকাল আদালত রায় ঘোষণা করেন।রায়ে আদালত বলেন, ৪, ৫, ৬, ৭, ৯, ১০, ১১ ও ১৩(২) ধারা সংবিধানের ১০৮, ১১২ ও ২৭ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ও আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত।ব্যক্তিশ্রেণীর আয়কর বিবরণী জমা দেওয়ার সময়সীমা শেষ হচ্ছে আজ বৃহস্পতিবার। তবে রাজনৈতিক ডামাডোলের মধ্যে চলতি সপ্তাহে আয়কর বিবরণী জমা দেওয়ার তেমন উৎসাহ নেই কর শনাক্তকরণ নম্বরধারীদের (টিআইএন)।এই অবস্থায় বিবরণী দাখিলের সময় আরও এক মাস বাড়তে যাচ্ছে। এ জন্য অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের কাছে সময় বাড়ানোর সারসংক্ষেপ পাঠানো হয়েছে। আজকে এ বিষয়ে ঘোষণা আসবে।প্রথম দফায় এক মাস সময় বাড়ানোর পর এবার গতবারের অর্ধেক বিবরণীও জমা পড়েনি বলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রে জানা গেছে।৩০ সেপ্টেম্বর নিয়মিত সময়সীমা শেষ হওয়ার পর এনবিআর এক মাস সময় বাড়িয়েছিল। কিন্তু চলতি মাসে ঈদুল আজহা ও পূজার ছুটি ছিল। সারা দেশে তিন দিনসহ আঞ্চলিক পর্যায়ে বেশ কয়েক দিন হরতাল ছিল রাজনৈতিক দলগুলোর। এ কারণে অনেক করদাতা তাঁদের বার্ষিক রিটার্ন জমা দিতে পারেননি। এক দফা সময় বাড়ানোর পর এ পর্যন্ত প্রায় ছয় লাখ করদাতা বার্ষিক রিটার্ন জমা দিয়েছেন। গত অর্থবছরে ১২ লাখের বেশি রিটার্ন জমা পড়েছিল।এ বছর রিটার্ন জমা দিতে গিয়ে ই-টিআইএন নিয়েও জটিলতায় পড়েছেন করদাতারা। আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ই-টিআইএন করার সময় থাকলেও চলতি করবর্ষের (২০১৩-১৪) রিটার্ন জমার সময়ই তা করে নিতে চায় এনবিআর। তাই রিটার্ন জমার সময় ইটিআইএনের জন্য আলাদা ফরম পূরণ করতে হচ্ছে করদাতাকে।মানুষের ত্বকে বসবাসকারী অণুজীব (ব্যাকটেরিয়া) থেকে এবার পনির তৈরি করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে অবস্থিত ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ক্রিস্টিনা অ্যাগাপ্যাকিস ও তাঁর সহযোগীদের দাবি, মানুষের ত্বক থেকে সংগৃহীত ব্যাকটেরিয়া পনির উৎপাদনে ব্যবহূত অন্যান্য ব্যাকটেরিয়ার চেয়ে তেমন ভিন্ন নয়। তবে ত্বকের এই ব্যাকটেরিয়ার গন্ধ ভালো নয়। তাই এটি থেকে তৈরি পনির খাওয়ার পরিবর্তে কেবল প্রদর্শনীর জন্যই রাখা হয়েছে। তা ছাড়া এ ধরনের প্রক্রিয়ায় তৈরি পনির সম্পর্কে মানুষের ধারণা স্বভাবতই বেশ নেতিবাচক। তবে গবেষণাগারে খাবার নিয়ে বিভিন্ন পরীক্ষামূলক কাজে এই পনির ব্যবহারে কোনো বাধা নেই। সুস্বাদু খাবার হিসেবে পরিচিত পনির তৈরির সাধারণ পদ্ধতিতে দুধকে ঘন করে ল্যাকটোব্যাসিলাস ব্যাকটেরিয়া (উদ্ভিদ বা প্রাণী থেকে সংগৃহীত) ও ছত্রাক (ইস্ট) প্রয়োগে ছানা তৈরি করা হয়। ফক্সনিউজ।জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের ভাওয়াপাড়া বড়াইল গ্রামের পশ্চিম মাঠে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় তিন যুবকের জবাই করা লাশ পড়ে থাকতে দেখা গেছে। তাঁদের বয়স ২৫ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে। তাঁদের পরনে প্যান্ট ও জ্যাকেট রয়েছে।মো‏হাম্মদপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান হবিবুর রহমান জানান, বেলা আড়াইটার দিকে ধানখেতে এই তিন যুবকের লাশ দেখতে পান স্থানীয় লোকজন। এরপর তাঁকে খবর দেওয়া হয়। নিহত কেউই এই ইউনিয়নের বাসিন্দা নন। স্থানীয় লোকজন তাঁদের পরিচয় শনাক্ত করতে পারেননি। ধারণা করা হচ্ছে, বাইরে থেকে এনে তাঁদের হত্যা করে এখানে ফেলে রেখে গেছে দুর্বৃত্তরা। তাঁদের পাশে দুটি মুঠোফোন ভাঙা অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা গেছে।হবিবুর রহমান আরও জানান, পুলিশকে জানানো হয়েছে। তারা রওনা হয়েছে।
বাংলাদেশের তৈরি পোশাকশিল্পের প্রতিযোগী দেশগুলোর মজুরিকাঠামো পর্যবেক্ষণ করতে আজ রোববার কম্বোডিয়া, ভিয়েতনাম ও থাইল্যান্ড সফরে গেলেন নিম্নতম মজুরি বোর্ডের সদস্যরা।জানা গেছে, থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে আজ দুপুরে ঢাকা ত্যাগ করেন বোর্ডের ছয় সদস্যসহ আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) ও শ্রম মন্ত্রণালয়ের দুই প্রতিনিধি।মজুরি বোর্ডের চেয়ারম্যান এ কে রায়ের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলটি প্রথমে যাবে কম্বোডিয়া। পরে ভিয়েতনাম ও থাইল্যান্ড হয়ে ৪ অক্টোবর দেশে ফিরবেন তাঁরা।১৭ সেপ্টেম্বর বোর্ডের পঞ্চম সভা শেষে এ কে রায় সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘বোর্ডের সদস্যরা থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়ার পোশাক কারখানা পরিদর্শনের জন্য যাবেন। এতে সহযোগিতা করবে আইএলও। সেখানে বোর্ডের সদস্যরা পোশাকশ্রমিকদের মজুরি কীভাবে দেওয়া হয়, মজুরি বোর্ড কীভাবে কাজ করে, সেগুলো পর্যবেক্ষণ করবেন।’আজ বিমানে ওঠার আগে বোর্ডের শ্রমিক প্রতিনিধি ও জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক কর্মচারী লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম জানান, তিন দেশে গিয়ে বোর্ডের সদস্যরা কারখানার কর্মপরিবেশ, পোশাকশ্রমিকদের জীবনমান, মজুরিকাঠামো, মজুরি বাস্তবায়ন-প্রক্রিয়া ইত্যাদি পর্যবেক্ষণ করবেন।মজুরি বোর্ডের সদস্যদের সঙ্গে শ্রম মন্ত্রণালয়ের উপসচিব বিজয় রঞ্জন সাহা ও আইএলওর প্রোগ্রাম অফিসার সাইদুল ইসলাম সফরে যাচ্ছেন। বোর্ডের অন্য সদস্যরা হচ্ছেন নিরপেক্ষ সদস্য ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মো. কামাল উদ্দিন, মালিক প্রতিনিধি ও বিজিএমইএর পরিচালক আরশাদ জামাল, শ্রমিকপক্ষের স্থায়ী প্রতিনিধি ও জাতীয় শ্রমিক লীগের কার্যকরী সভাপতি ফজলুল হক, সচিব মো. আবু হাসনাত।প্রয়াত মান্না দে স্মরণে আজ দেশ টিভি আয়োজন করেছে গানের অনুষ্ঠান ‘গ্রামীণফোন নিবেদিত মান্না দে নাইট’। অনুষ্ঠানে গান গাইবেন সুজিত মোস্তফা, সুমন চৌধুরী, শশীন মজুমদার ও আরিফুল ইসলাম। গান গাওয়ার পাশাপাশি উপস্থাপনা করবেন তিমির নন্দী। স্টুডিও থেকে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে রাত পৌনে ১২টায়।যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের পর এবার ঢাকার প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাচ্ছে ভৌতিক ছবি ‘দ্য কনজুরিং’। কাল শুক্রবার থেকে ঢাকার স্টার সিনেপ্লেক্সে মুক্তি পাচ্ছে ছবিটি।জেমস ওয়েন পরিচালিত অতি প্রাকৃত এই ছবিটি এ বছরের ১৯ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রে মুক্তি পায়। আর যুক্তরাজ্যে মুক্তি দেওয়া হয় গত ৬ আগস্ট। মুক্তির পরপরই ছবিটি দর্শকদের মাঝে সাড়া ফেলতে সক্ষম হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে  ইউকে টপচার্টের শীর্ষে জায়গা করে নেয় ছবিটি।২০ মিলিয়ন বাজেটের এই ছবি এ যাবত্ আয় করেছে প্রায় ৩১৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। প্রত্যাশার চেয়ে বেশি দর্শক সাড়ার পাশাপাশি সমালোচকদেরও দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছে ছবিটি। অনেক সমালোচককেই এ ছবি নিয়ে ইতিবাচক মন্তব্য করতে দেখা গেছে। চিত্রনাট্য, দৃশ্যায়ন, ইফেক্টের ব্যবহার এবং অভিনেতা-অভিনেত্রীদের পারফরম্যান্স, সব মিলিয়ে ছবিটি ষোলোকলা পূর্ণ করেছে বলে মনে করেন তাঁরা। বিশ্বখ্যাত সিনে ম্যাগাজিন ‘রোটেন টমেটোস’ ছবিটিকে ১০ এর মধ্যে ৭.২ দিয়েছে।সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ১০ নম্বর আগরদাঁড়ি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাময়িক বরখাস্ত করা চেয়ারম্যান আনারুল ইসলাম (৪৫) যৌথ বাহিনীর সঙ্গে গুলিবিনিময়ে নিহত হয়েছে। আজ সোমবার বেলা দেড়টার দিকে কুশখালী ইউপির ভাদরা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।নিহত আনারুল ইসলাম জেলার সদর উপজেলার কাসেমপুর গ্রামের আবদুর রহমানের ছেলে।সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও লাবসা ইউপির চেয়ারম্যান আবদুল আলিম জানান, আনারুল ইসলাম আগে বিএনপির সমর্থক ছিলেন। কিছুদিন ধরে তিনি জামায়াতের সঙ্গে চলাফেরা করতেন।সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপার চৌধুরী মঞ্জুরুল কবিরের ভাষ্যমতে, আজ যৌথ বাহিনী নিয়মিত টহলে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কুশখালী ইউপির ভাদরা এলাকায় যায়। এ সময় জামায়াত-শিবিরের ৫০-৬০ জন কর্মী তাদের ওপর হামলা চালায়। জামায়াত-শিবির কর্মীরা যৌথ বাহিনীর ওপর ইটপাটকেল, ককটেল ও ছররা গুলি ছোড়ে। এ সময় যৌথ বাহিনী পাল্টা গুলি চালায়। ঘণ্টাব্যাপী গুলিবিনিময়ের পর হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। এ সময় যৌথ বাহিনী ভাদড়া বিলের একটি পুকুরের পাশ থেকে আনারুলকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে। পরে তাঁকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিত্সক মৃত ঘোষণা করে। ঘটনাস্থল থেকে দুটি পাইপগান ও কয়েকটি দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ দুপুর সাড়ে ১২টার দিক থেকে সদর উপজেলার কুশখালী ইউপির ভাদড়া এলাকায় ঘণ্টাব্যাপী গুলির শব্দ শোনা যায়। পরে জানা যায়, পার্শ্ববর্তী আগরদাঁড়ি ইউপির আনারুল ইসলাম মারা গেছেন।আনারুল ইসলামের মৃত্যুর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে জরুরি বিভাগের চিকিত্সক রবিউল ইসলাম।আগরদাঁড়ি ইউপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান জানান, সরকারি গাছ কাটা ও নাশকতার অভিযোগে গত ৭ এপ্রিল স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় আনারুল ইসলামকে চেয়ারম্যান পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করে। মান্নান ১১ এপ্রিল দায়িত্ব নেন বলে জানান।
পারিবারিক সম্পর্ক, প্রেম, জীবনের নানা টানাপোড়েন, প্রিয়জনের ভালোবাসা—সামাজিক জীবনের এমন অনুভূতির গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে ধারাবাহিক নাটক ‘চোরকাঁটা’। আজ আরটিভিতে নাটকটি প্রচারিত হবে। পান্থ শাহরিয়ারের রচনায় নাটকটি পরিচালনা করেছেন অম্লান বিশ্বাস।নাটকটির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন রাইসুল ইসলাম আসাদ, আজাদ আবুল কালাম, ইন্তেখাব দিনার, নাদিয়া, শতাব্দী ওয়াদুদ, বিজরী বরকতউল্লাহ, ওয়াহিদা মল্লিক জলি, চিত্রলেখা গুহ, খায়রুল আনাম সবুজ প্রমুখ। সপ্তাহের সোম থেকে বৃহস্পতিবার রাত আটটা ১৫ মিনিটে নাটকটি দেখা যাবে আরটিভির পর্দায়।‘চোরকাঁটা’ নাটকের বিষয়বস্তু সম্পর্কে এর কাহিনিকার পান্থ শাহরিয়ার বলেন, ‘মূলত এটি একটি পারিবারিক আবহের গল্প নিয়ে বানানো নাটক। যৌথ পরিবারের খুঁটিনাটি নানা বিষয় উঠে এসেছে এর কাহিনিতে। প্রাত্যহিক ব্যস্ততা, নিজস্ব জগতে বিচরণের আকাঙ্ক্ষা, সবার সঙ্গে খাপ খাইয়ে চলার মানসিকতার অভাবসহ আরও নানা কারণে এখন যৌথ পরিবার প্রায় চোখেই পড়ে না। যা-ও আছে, সেগুলোও ভেঙে যাচ্ছে।’পান্থ শাহরিয়ার আরও বলেন, ‘চোরকাঁটার ওপর দিয়ে হেঁটে গেলে তা কাপড়ে লেগে যায়। কিন্তু সেটা কিন্তু খুব বেশি ক্ষতি করে না। কাপড়ে লেগে যাওয়া চোরকাঁটা খুব সহজেই সরিয়ে ফেলা যায়। যৌথ পরিবারও ছোটখাটো কিছু খুনসুটির কারণে ভেঙে যাচ্ছে। ছোট ছোট এসব সমস্যা চোরকাঁটার মতোই। চাইলেই তা মিটিয়ে ফেলা যায়। এসব ছোটখাটো সমস্যা বড় করে না দেখলেই কিন্তু টিকে থাকতে পারে যৌথ পরিবার।’‘চোরকাঁটা’ নাটকের কাহিনিতে দেখা যাবে, ঢাকার পাশে ১০ কাঠার একটা প্লট পেয়েছিলেন দুই ভাই মইনুল আর সাইদুল। শেষ বয়সে তাঁরা দুজন মিলে জমিটার ওপর তিনতলা বাড়ি তৈরি করেন। তাঁদের একটাই শর্ত, পুরো পরিবার একসঙ্গে এক পরিবার হয়ে থাকতে হবে। মইনুল আর সাইদুলের মা-বাবাসহ পরিবারের সদস্যসংখ্যা ১৪। সারাক্ষণ সবাই মিলে হাসি-খুশিতে মেতে থাকে পরিবারের মানুষগুলো। বাইরে থেকে দেখে বোঝার উপায় নেই, তাদের জীবনেও লুকিয়ে আছে চোরকাঁটার মতো কষ্ট-দুঃখ-হিংসা-অভিমান-ক্ষোভ, যা মাঝে মাঝেই ফণা তুলে দাঁড়িয়ে যায় হাসির অন্তরায় হয়ে।পাঁচ জেলায় বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউটের (বিএসটিআই) কার্যালয় স্থাপন করা হচ্ছে। জেলাগুলো হচ্ছে রংপুর, ময়মনসিংহ, ফরিদপুর, কুমিল্লা ও কক্সবাজার।৪৪তম বিশ্ব মান দিবস উপলক্ষে গত মঙ্গলবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে মান ভবনের সম্মেলনকক্ষে এক আলোচনা সভায় এ কথা জানান শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া। বিএসটিআইয়ের মহাপরিচালক ইকরামুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন শিল্পসচিব মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ্, বাংলাদেশ অ্যাক্রিডিটেশন বোর্ডের মহাপরিচালক আবু আবদুল্লাহ প্রমুখ।গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সংকুচিত করতে পারে, নতুন প্রণীত এমন একটি আইন বাতিল করে দিয়েছেন কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট উহুরু কেনিয়াত্তা। বিবিসি বলছে, গত মাসে দেশটির পার্লামেন্টে নতুন আইনটি পাস করা হয়েছিল।নতুন আইনে একটি বিশেষ আদালত বা ট্রাইব্যুনাল প্রতিষ্ঠার সুযোগ রাখা হয়েছিল। আচরণবিধি ভঙ্গের দায়ে সাংবাদিক ও গণমাধ্যমগুলোর বিচার বা সেগুলোকে অর্থদণ্ড দেওয়ার বিধান ছিল ওই আইনে।আইনটি প্রণীত হওয়ার পর এ নিয়ে কেনিয়াজুড়ে ব্যাপক অসন্তোষ দেখা দেয়। দেশটির স্বাধীন গণমাধ্যমও রুখে দাঁড়ায়।প্রেসিডেন্টের দপ্তর আজ বৃহস্পতিবার বলেছে, গত এপ্রিলে ক্ষমতায় আরোহণের পর উহুরু এবারই প্রথমবারের মতো ভেটো ক্ষমতা প্রয়োগ করলেন।কেনিয়ার গণমাধ্যম পরিষদ দেশটির সব ধরনের গণমাধ্যম পরিচালনা করে থাকে। পরিষদটি পুরোপুরি স্বাধীন এবং এতে একটি অভিযোগকেন্দ্রও ছিল। নতুন আইনে অভিযোগকেন্দ্রটি তুলে দিয়ে সব ধরনের অভিযোগের বিচার করার জন্য একটি সরকারি বিশেষ আদালত প্রতিষ্ঠার বিধান রাখা হয়েছিল।কেনিয়ার প্রেসিডেন্টের দপ্তর থেকে বলা হয়েছে, ‘প্রস্তাবিত বিশেষ আদালতটি যে অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সরকারি স্বার্থ রক্ষার্থে ব্যবহূত হবে না, তা নিশ্চিতের জন্য আদালতটির পর্যাপ্ত সাংবিধানিক যোগ্যতা নেই।’ বিবৃতিতে বলা হয়, নতুন আইনটিতে যে দণ্ডবিধান রাখা হয়েছে তা-ও অসংলগ্ন।দপ্তরটি জানায়, ‘সাংবিধানিক অধিকার সমুন্নত রাখতে আইনের বেশ কিছু ধারা বাদ নিয়ে সেটিকে নতুন করে সাজানোর নির্দেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট।’এর আগের সরকারের আমলেও আইনটি প্রণয়নের জোর চেষ্টা চলেছিল। বছর দুয়েক আগে জনমতের চাপে সাবেক প্রেসিডেন্ট মওয়াই কিবাকির সে প্রচেষ্টা ভন্ডুল হয়ে যায়।কয়েক মাস আগে বাংলাদেশ সরকার তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৩ পাস করে। সমালোচকেরা বলছেন, এ আইনটি সাংবাদিক ও গণমাধ্যমের জন্য শুধু নিপীড়নমূলকই নয়, সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিকও বটে। তবে সরকার বলছে, জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার সমুন্নত রাখতেই ওই আইনটি প্রণয়ন করা হয়েছে।নববর্ষ উদযাপনে সিঙ্গাপুর যাচ্ছেন বাংলা চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় নায়ক শাকিব খান। সপ্তাহখানেক সেখানেই থাকবেন তিনি। সম্প্রতি এফডিসিতে প্রথম আলোর সঙ্গে আলাপে এমনটাই জানিয়েছেন তিনি। নববর্ষ উদযাপনের পাশাপাশি শাকিব স্বাস্থ্য পরীক্ষার কাজটিও সারবেন বলে জানা গেছে।শাকিব বলেন, ‘জ্বর, সর্দি, কাশিসহ আরও কিছু সমস্যার কারণে সিঙ্গাপুর যেতে হচ্ছে। অবশ্য সেখানে একটি অনুষ্ঠানেও অংশ নেব। ভক্তদের দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই।’শাকিব আরও বলেন, ‘চিকিত্সকের পরামর্শে অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ চলছে। কিন্তু চাইলেও বিশ্রাম নেওয়া যাচ্ছে না। একটানা ৩০ তারিখ পর্যন্ত শুটিং করলেই শেষ হবে ‘‘রেড-দ্য কালার অব লাভ’’ ছবির শুটিং। তারপরই সিঙ্গাপুর যাব।’‘রেড-দ্য কালার অব লাভ’ ছবিতে শাকিবের প্রধান নায়িকা অপু বিশ্বাস। রয়েছেন মীম চৌধুরী নামের আরেকজন নবাগতও।‘রেড-দ্য কালার অব লাভ’ প্রসঙ্গে শাকিব বলেন, ‘খুবই সুন্দর গল্পের একটি ছবি। প্রযুক্তি ও লোকেশন থেকে শুরু করে সবকিছুতেই আধুনিকতার ছোঁয়া পাওয়া যাবে এতে।’শাকিব ‘রেড-দ্য কালার অব লাভ’ ছাড়াও ‘শোধ’ এবং ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’ ছবির কাজ করছেন।
বেতনকাঠামো নিয়ে পোশাকশিল্পে চলমান অসন্তোষের জন্য শুধু শ্রমিকেরাই দায়ী নন বলে মন্তব্য করেছেন শ্রমমন্ত্রী রাজিউদ্দিন আহমেদ। মন্ত্রীর দাবি, হেফাজতে ইসলামের আমির আহমেদ শফীর ‘তেঁতুল-তত্ত্ব’ নারী শ্রমিকদের খেপিয়ে তুলেছে। এ ছাড়া বাইরের লোকেরও ইন্ধন রয়েছে।বিজিএমইএ ও বিকেএমইএর নেতারা আজ রোববার সচিবালয়ে শ্রমমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে যান। এ সময় মন্ত্রী সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।শ্রমমন্ত্রী রাজিউদ্দিন আহমেদ বলেন, পোশাকশিল্পে বেতনকাঠামো নিয়ে যে অসন্তোষ চলছে, তার জন্য শুধু শ্রমিকেরাই দায়ী নন। মাওলানা শফীর তেঁতুল-তত্ত্বও দায়ী।শ্রমিকদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, আপনারা কাজে ফিরে যান। এখন কাজে না ফিরলে ঈদের আগে বেতন-ভাতা দিতে মালিকদের কষ্ট হবে।বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি আতিকুল ইসলাম বলেন, ঈদের আগে শ্রমিকদের বেতন-বোনাস দেওয়ার জন্য মালিকেরা যথাসাধ্য চেষ্টা করবেন। নভেম্বরের মধ্যে মজুরি ঘোষণা হবে। মজুরি বোর্ড যে সুপারিশ দেবে, মালিকেরা তা মেনে নেবেন।টানা আট দিন শ্রমিক বিক্ষোভের পর গতকাল শনিবার বিজিএমইএর নেতারা পোশাকশ্রমিক নেতাদের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠক করেছেন। পরে পোশাকশিল্পের বর্তমান নৈরাজ্য ঠেকাতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার যৌথ ঘোষণা দেয় উভয় পক্ষ। ওই বৈঠকের বিষয়ে মন্ত্রীকে অবহিত করতে বিজিএমইএ ও বিকেএমইএর নেতারা আজ সচিবালয়ে যান বলে জানা গেছে।তৈরি পোশাকশ্রমিকদের জন্য গঠিত নিম্নতম মজুরি বোর্ডের অষ্টম সভা আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় অনুষ্ঠিত হবে। সভায় মালিকপক্ষের নতুন প্রস্তাব দেওয়ার কথা রয়েছে।গত রোববার বোর্ডের সপ্তম সভায় নতুন প্রস্তাব দেওয়ার কথা ছিল। তবে শেষ মুহূর্তে হরতালের অজুহাতে মালিকপক্ষ সভায় উপস্থিত হয়নি। প্রস্তাবও দেয়নি। এ কারণে চেয়ারম্যান এ কে রায়সহ উপস্থিত বোর্ডের চার সদস্য মজুরি নিয়ে আলোচনা করতে পারেননি।পোশাকমালিকদের সমিতি বিজিএমইএর সভাপতি আতিকুল ইসলাম গতকাল প্রথম আলোকে জানান, আজ তাঁরা নতুন প্রস্তাব দেবেন।কত টাকার প্রস্তাব দেবেন—এমন প্রশ্ন করলে মালিকপক্ষের প্রতিনিধি আরশাদ জামাল জানান, সাড়ে চার হাজার টাকার কম, এই রকম প্রস্তাব করবে মালিকপক্ষ। এর মধ্যে মূল মজুরি, বাড়িভাড়া ও চিকিৎসা ভাতার পাশাপাশি খাদ্য ও যোগাযোগ ভর্তুকি অন্তর্ভুক্ত থাকবে।বোর্ডের তৃতীয় সভায় শ্রমিক প্রতিনিধির পক্ষ থেকে নিম্নতম মজুরি আট হাজার ১১৪ টাকা দাবি করা হয়।যুক্তরাজ্যে বসবাসরত সবচেয়ে প্রভাবশালী এশীয়র শিরোপা পেল পাকিস্তানের নারীশিক্ষা আন্দোলনের কর্মী মালালা ইউসুফজাই। চরম প্রতিকূলতার মুখে অদম্য অবস্থানের জন্য প্রভাবশালী ১০১ জন এশীয় ব্যক্তির তালিকার শীর্ষস্থান দখল করেছে এই কিশোরী।গত বুধবার রাতে যুক্তরাজ্যের সাপ্তাহিক পত্রিকা জিজি-টু (গরবি গুজরাট-টু) লন্ডনে এক অনুষ্ঠানে মালালাকে এই পুরস্কার দেয়।মালালার হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়ার সময় তাকে অভিনন্দন জানান যুক্তরাজ্যের উপপ্রধানমন্ত্রী নিক ক্লেগ। ‘নিদারুণ বৈরিতার মধ্যেও অদম্য সাহসিকতার জন্য’ মালালার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন বিচারকেরা।পুরস্কারের উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, একজন শক্তিশালী ও প্রভাবশালী প্রতিনিধি হিসেবে মালালা আন্তর্জাতিক জনগোষ্ঠী ও রাজনৈতিক নীতিনির্ধারকদের কাছে পৌঁছে যাওয়ার ক্ষমতা রাখে। এ কারণে এই পুরস্কারের শীর্ষস্থান তারই প্রাপ্য।তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন রাজনীতিবিদ কিথ ভাজ। তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে আছেন যথাক্রমে শিল্পপতি লক্ষ্মী মিত্তাল এবং ব্যবসায়ী এসপি ও জিপি হিন্দুজা। আরও আছেন ব্যারনেস সাঈদা ওয়ার্সি ও লেবার দলের সাদিক খান।মেয়েদের স্কুলে যাওয়ার অধিকারের দাবিতে সোচ্চার কণ্ঠ স্কুলছাত্রী মালালার মাথায় গত বছরের অক্টোবরে গুলি করেছিল তালেবান জঙ্গিরা। পাকিস্তানের প্রত্যন্ত অঞ্চল সোয়াতে এ ঘটনার পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে সরকারিভাবে পাঠানো হয় যুক্তরাজ্যে। সে এখন সেখানেই বাস করছে। দ্য টেলিগ্রাফ।ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে নতুন বছরে মুক্তি পাচ্ছে ক্লোজআপ তারকাখ্যাত মুহিনের নতুন একক গানের অ্যালবাম। নাম ‘বাংলা ঢোল’। এটি তাঁর চতুর্থ একক। মুহিনের এবারের অ্যালবামে মোট গান থাকবে ১২টি। এর মধ্যে ১১টি গানের রেকর্ডিং সম্পন্ন হয়েছে। বাকি রয়েছে শুধু দ্বৈত গানের কাজ।গাওয়ার পাশাপাশি অ্যালবামের জন্য দুটি গান লিখেছেন এবং পাঁচটি গানের সুর ও সংগীত পরিচালনা করেছেন মুহিন। আর অন্য গানগুলোর সুর-সংগীতায়োজন করেছেন জোহান আলমগীর, সুমন কল্যাণ, মাসুম, আল আমিন এবং আর আজিজ টিটো।অ্যালবাম প্রসঙ্গে মুহিন বলেন, ‘গল্প এন্টারটেইনমেন্টের ব্যানারে আমার নতুন অ্যালবামে ১২টি গানই ভালোবাসার। গানের শিরোনামগুলো এমন—পূর্ব পশ্চিম, টো টো কোম্পানি, তুমি তো নিঃশ্বাস, রংধনু রং, চিলেকোঠা প্রভৃতি।’‘বাংলা ঢোল’ প্রসঙ্গে মুহিন বলেন, ‘টানা দুই বছর পর নতুন অ্যালবাম প্রকাশ করতে যাচ্ছি। গানগুলো করতে প্রায় এক বছর সময় নিয়েছি। চেষ্টা করেছি আগের তিনটি অ্যালবামের বাইরে গিয়ে নতুন কিছু করতে। আশা রাখছি অতীতের মতো এবারও শ্রোতাদের ভালোবাসা পাব।’উল্লেখ্য, মুহিনের সর্বশেষ একক ‘ঘুম আসে না’। ২০১১ সালে প্রকাশিত অ্যালবামটি বাজারে এনেছে জি-সিরিজ। এর আগে প্রকাশিত অন্য দুটি অ্যালবাম হচ্ছে ‘গোপন কথা’ (২০০৯) এবং ‘তোমার জন্য’ (২০০৮)।
বিএনপি নির্বাচনে বাড়তি সুবিধা পাওয়ার জন্যই আন্দোলনের হুমকি দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ।আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, ‘বিএনপি তলে তলে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে আর ওপর দিয়ে আন্দোলনের হুমকি দিচ্ছে। এই হুমকি নির্বাচনে বাড়তি সুবিধা আদায়ের জন্য। খুলনায় বিএনপির জনসভা কোনো রাজনৈতিক আন্দোলনের কর্মসূচি নয়, এটা তাদের নির্বাচনী সভা। তারা আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্যই একের পর এক জনসভা করে যাচ্ছে।’প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী হানিফ বলেন, ‘কিছু বুদ্ধিজীবী আছেন, যাঁরা দেশে সংকট আছে বলে জনমনে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন। কিন্তু দেশে কোনো সংকট নেই, তাঁরা পরিবেশ ঘোলাটে করে সংকট তৈরি করতে চান। বিরোধী দল জাতীয় সংসদে এসে দাবি-দাওয়া ও প্রস্তাব দিতে পারে, গ্রহণযোগ্য হলে আমরা তা নিয়ে আলোচনা করব, একটা সমাধানের পথ বের করব।’হানিফ বলেন, ‘এই সরকারের আমলেই মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় সাজাপ্রাপ্ত কয়েকজন যুদ্ধাপরাধীর রায় কার্যকর করা হবে। তবে, বিচার সম্পন্ন করতে ও উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষার জন্য আওয়ামী লীগকে আবার ক্ষমতায় আসতে হবে।’মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এ আজিজের সভাপতিত্বে বর্ধিত সভায় বক্তব্য দেন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম প্রমুখ।তথ্য ও বিনোদনযে গল্পের শেষ নেইকথাবন্ধুর সঙ্গে আড্ডা[রাত ১১.২০-২.০০]ইতালির সাবেক প্রধানমন্ত্রী সিলভিও বেরলুসকোনিকে গত বুধবার পার্লামেন্ট থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। কর জালিয়াতির দায়ে অভিযুক্ত এই ধনকুবের অবশ্য ভবিষ্যতে রাজনীতিতে টিকে থাকার লড়াই চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেছেন।রাজধানী রোমে নিজ বাসভবনের সামনে হাজার হাজার সমর্থকের উদ্দেশে বেরলুসকোনি বলেন, পার্লামেন্টে ওই ভোটাভুটির পরও তিনি রাজনীতিতে থাকবেন। দিনটি ছিল ‘গণতন্ত্রের জন্য শোকাবহ’।তিন দফা প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনকারী বেরলুসকোনি ২০ বছরের রাজনৈতিক জীবনে এই প্রথম পার্লামেন্ট থেকে বহিষ্কৃত হলেন। সিনেটে ভোটাভুটিতে তাঁর পক্ষে সমর্থনও জানিয়েছেন বেশ কয়েকজন আইনপ্রণেতা। এমনকি তাঁকে দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদবিরোধী নেতা নেলসন ম্যান্ডেলার সঙ্গে তুলনা করেন একজন সিনেটর। বিষয়টি নিয়ে দুই প্রতিদ্বন্দ্বী সিনেটরের মধ্যে বাগবিতণ্ডাও হয়।বেরলুসকোনি আগামী ছয় বছর কোনো সাধারণ নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না। তিনি দায়মুক্তির অধিকারও হারিয়েছেন। এই অধিকার থাকায় এত দিন তাঁকে গ্রেপ্তারে আইনি বাধা ছিল। এখন তাঁকে গ্রেপ্তারে বাধা নেই। পার্লামেন্ট থেকে বেরলুসকোনিকে বহিষ্কারের পর তাঁকে গ্রেপ্তারের গুজব ছড়িয়ে পড়ে। তবে তাঁর আইনজীবীরা এ ধরনের খবর অসত্য বলে জানান।বেরলুসকোনির সমর্থনে আয়োজিত এক জনসভায় তাঁর বান্ধবী ফ্রান্সেসকা প্যাস্কেলকে অংশ নিতে দেখা যায়। সমাবেশে বেরলুসকোনির বহিষ্কারের বিষয়টিকে ‘অবৈধ’ উল্লেখ করে প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করা হয়।রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, পার্লামেন্টের এই সিদ্ধান্তের ফলে বেরলুসকোনি ধীরে ধীরে রাজনীতি থেকে হারিয়ে যেতে পারেন। এএফপি।রাশিয়ার উত্তর ককেশাস অঞ্চলের ভলগোগ্রাদ শহরে আজ সোমবার আবার এক বোমা হামলার ঘটনায় ১২ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে ২০ জন। এটি আত্মঘাতী হামলা বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। খবর বিবিসি অনলাইনের।গতকাল রোববার শহরটির ট্রেন স্টেশনে বোমা হামলার ঠিক এক দিন পর আজ একটি যাত্রীবাহী ট্রলিবাসে বোমার বিস্ফোরণ হয়।এতে কমপক্ষে ১২ জন মানুষ নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে। খবরে বলা হয়, ভলগোগ্রাদ শহরের একটি ব্যস্ত বাজারের কাছে আজ এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ট্রলিবাসটি ওই এলাকা দিয়ে যাচ্ছিল।গতকাল ভলগোগ্রাদ শহরের প্রধান ট্রেন স্টেশনে এক শক্তিশালী বিস্ফোরণে ১৮ জন নিহত হয়। এতে ৪০ জন আহত হয়েছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বলেছে, ওই হামলায় একজন আত্মঘাতী নারী জড়িত ছিলেন।গতকাল ও আজকের বিস্ফোরণের ঘটনাকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড হিসেবে বিবেচনা করছে সরকার। ২০১৪ সালে দেশটির সোচি শহরের শীতকালীন অলিম্পিক গেমস অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। সোচি শহরটি দেশটির বিরোধপূর্ণ উত্তর ককেশাস অঞ্চলের খুব কাছেই অবস্থিত। ধারণা করা হচ্ছে, অলিম্পিক আয়োজনকে লক্ষ্য করেই সশস্ত্র কোনো গোষ্ঠী একের পর এক সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে কোনো গোষ্ঠী এখনো এসব হামলার দায় স্বীকার করেনি।
বিএনপির চেয়ারপারসন ও বিরোধীদলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, ‘আন্দোলন করে আওয়ামী লীগ ও হাসিনাকে সরাতে হবে। হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচনে আমরা যাব না। নির্বাচন হতেও দেব না। নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮-দলীয় জোট ক্ষমতায় যাবে।’আজ রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় যশোর সার্কিট হাউস মিলনায়তনে দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় বিএনপির চেয়ারপারসন এসব কথা বলেন।ক্ষমতায় গেলে নতুন আঙ্গিকের সরকার গঠনের ঘোষণা দিয়ে খালেদা জিয়া বলেন, ‘এবার নতুন আঙ্গিকে সরকার গঠন করা হবে। আমরা ঐক্যের রাজনীতি করব। জাতিকে বিভক্ত রেখে দেশকে এগিয়ে নেওয়া যায় না। দেশ গঠনের জন্য ভালো ভালো লোককে নিয়ে আসব।’দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বিরোধীদলীয় নেতা বলেন, ‘কী পেলাম, সে চিন্তা না করে কী দিলাম, সেই চিন্তা করতে হবে। আমাদের তো নির্বাচনে জিততে হবে। যাকে মনোনয়ন দেওয়া হবে, তার পক্ষে কাজ করতে হবে।’সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের অনিয়ম-দুর্নীতির প্রসঙ্গ তুলে ধরে খালেদা জিয়া বলেন, রূপপুর আণবিক বিদ্যুত্ প্রকল্প, রাশিয়া থেকে অস্ত্র কেনা, পদ্মা সেতুসহ সব প্রকল্পে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতি করা হয়েছে। দুর্নীতির কারণে পদ্মা সেতুটাই তোমরা (সরকার) করতে পারলে না। অথচ মুখে উন্নয়নের জোয়ার বইয়ে দিচ্ছ। তাদের আজ্ঞাবহ দুদক পদ্মা সেতুর দুর্নীতি ধরতে পারল না। বিশ্বব্যাংক ঠিকই তাদের দুর্নীতি খুঁজে বের করেছে, যার জন্য বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ, এডিবি এ প্রকল্পে অর্থায়ন বন্ধ করে দিয়েছে।’ব্যাংকের অনিয়মের ব্যাপারে বিরোধীদলীয় নেতা বলেন, রাষ্ট্রায়ত্ত পাঁচটি ব্যাংক একদম দেউলিয়া হয়ে গেছে। সোনালী ব্যাংক যে অবস্থায় পড়েছে, সেখান থেকে উঠে আসতে ৩০৯ বছর সময় লাগবে। এ অবস্থায় চলছে দেশ। তিনি আরও বলেন, ‘তারা কোথায় কোন দেশে টাকা পাচার করেছে, আমাদের কাছে সেসব তথ্য-উপাত্ত রয়েছে। আমরা বলেছি, আমরা প্রতিশোধ-প্রতিহিংসার রাজনীতি করব না। তাদের কিছুই করব না। তার পরও তারা ভয়ে ক্ষমতা ছাড়ছে না।’মতবিনিময় সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলাম ও যশোর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাবেরুল হক।গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে খালেদা জিয়া যশোরে পৌঁছান। এ সময় তাঁকে দলীয় নেতা-কর্মীরা অভিনন্দন জানান। মতবিনিময় শেষে আজ দুপুর ১২টায় খালেদা জিয়া খুলনার উদ্দেশে যাত্রা করেন।দেশের কর ব্যবস্থা ও কর পার্থক্য বিশ্লেষণ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গায় এক গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে।অক্সফামের সহায়তায় সুশাসনের জন্য প্রচারাভিযান (সুপ্র) গত মঙ্গলবার স্থানীয় ওয়েভ ফাউন্ডেশন মিলনায়তনে এই শুনানির আয়োজন করে। এতে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মল্লিক সাঈদ মাহবুব, উপ-কর কমিশনার খুরশিদ আলম, কাস্টমসের পরিদর্শক মো. হাশেম আলী, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ সিদ্দিকুর রহমান, সরকারি মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ এস এম ইস্রাফিল এবং সুপ্রর জেলা শাখার সভাপতি বেলাল হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম বক্তব্য দেন।বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮-দলীয় জোটের ডাকা অবরোধের তৃতীয় দিনে গতকাল বৃহস্পতিবার নরসিংদীতে ছাত্রলীগের এক কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা করেছেন ছাত্রদলের কর্মীরা। এ নিয়ে গত তিন দিনে ১৯ জন নিহত হয়েছেন।এর বাইরে গত দুই দিনের মতো দেশের বিভিন্ন স্থানে ভাঙচুর ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। রেললাইন যথারীতি ছিল নাশকতার মূল লক্ষ্য। জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে পুলিশের গাড়ি। ঢাকায় সন্ধ্যায় যাত্রীবাহী একটি বাসেও আগুন দেওয়া হয়।গতকাল রাত সাড়ে আটটার দিকে নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল বাসস্ট্যান্ডে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেনের ব্যবসায়িক কার্যালয়ে একটি বর্ধিত সভা চলছিল। অবরোধের সমর্থনে মিছিল করে এসে পৌর ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা সেখানে হামলা চালান। এরপর তাঁরা উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য আনোয়ার হোসেনকে কুপিয়ে হত্যা করেন। হামলায় উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য শহিদুল ইসলাম ও ইয়াসিন মোল্লা গুরুতর আহত হন। পটুয়াখালী-বরিশাল মহাসড়কের তেলিখালী এলাকায় ভোর থেকেই বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীরা মহাসড়ক অবরোধ করেন। তাঁরা সড়কে আগুন জ্বালিয়ে স্লোগান দেন। পুলিশ ও র‌্যাবের সদস্যরা তাঁদের হটানোর চেষ্টা করলে সংঘর্ষ বাধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ শটগানের ৫০টি গুলি ছোড়ে। পাঁচ পুলিশসহ কমপক্ষে ৫০ জন আহত হন।সিলেটের বিয়ানীবাজার ও নগরের হুমায়ুন রশিদ চত্বরে পুলিশের সঙ্গে ১৮ দলের কর্মীদের সংঘর্ষে পুলিশসহ অন্তত ৪০ জন আহত হন। বিয়ানীবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ জানান, ১৮ দলের কর্মীরা ব্যাংক এশিয়া, পূবালী ব্যাংক, জনতা ব্যাংকসহ অন্তত ১০টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর করেন।গতকাল সকালে রাজশাহী নগরের শালবাগান এলাকায় অবরোধকারীরা পুলিশের সাঁজোয়া যানে হামলা করেছেন। পরে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে রাবার বুলেট ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় দুই পুলিশসহ কমপক্ষে ১০ জন আহত হন। নগরের চারখোটার মোড়ে গুলিতে অপর এক পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। বুধবার রাতে নগরের বিনোদপুর এলাকায় ছাত্রলীগের সাবেক এক নেতাকে কুপিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা।রাজবাড়ীর নতুন বাজারের পাশে জেলখানার সামনে বুধবার রাতে একটি বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা।সকালে সাভারের রেডিও কলোনি বাসস্ট্যান্ডে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে পুলিশের সঙ্গে স্বেচ্ছাসেবক দল ও বিএনপির কর্মীদের সংঘর্ষ হয়। আহত হন কমপক্ষে ৩০ জন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে চারজনকে আটক করে। ঢাকা জেলা মহিলা দলের নেতা-কর্মীরা সাভারের বিশমাইল এলাকায় কয়েকটি যানবাহন ভাঙচুর করেন।মাদারীপুরের শিবচরে অবরোধের মধ্যে সিমেন্টবোঝাই একটি ট্রাক পুড়িয়ে দিয়েছেন অবরোধকারীরা।চাঁদপুরে আগুন দিয়ে রেললাইন অবরোধের পাশাপাশি লঞ্চে হামলা চালিয়েছেন অবরোধকরীরা। চাঁদপুর লঞ্চঘাটে ভেড়ানো ‘ঈগল’ লঞ্চে হামলা চালান ছাত্রদলের কর্মীরা। চাঁদপুর-কুমিল্লা সড়কের বাকিলা, মহামায়াসহ জেলার ফরিদগঞ্জ ও হাজীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে গাছ ও বৈদ্যুতিক খুঁটি ফেলে সড়ক অবরোধ করেন পিকেটাররা।যশোরে দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত জামায়াত নেতা আবু সিদ্দিকী বুলবুলের লাশ নিয়ে হরতালের মধ্যে মিছিল করেছেন জোটের নেতা-কর্মীরা। অবরোধ চলাকালে নেতা-কর্মী নিহতের প্রতিবাদে সিরাজগঞ্জে জেলা বিএনপি ও জামায়াতের সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ঢিলেঢালাভাবে পালিত হয়েছে।নোয়াখালীর মাইজদী, সোনাপুর, দত্তেরহাট, রশিদ কলোনিসহ বিভিন্ন সড়কে গাছের গুঁড়ি ও টায়ারে আগুন দিয়ে যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেন অবরোধকারীরা।লালমনিরহাটের মহেন্দ্রনগর এলাকায় পুলিশের সঙ্গে অবরোধকারীদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এতে তিন পুলিশসহ ১৬ জন আহত হন। বগুড়ায় মধ্যরাতে ৭২ ফুট রেললাইন কেটে ট্রেনে নাশকতার চেষ্টা করা হয়। টঙ্গীতেও জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা রেলপথ অবরোধ করেন। নওগাঁর আত্রাইয়ে রেললাইন কেটে ফেলেছেন অবরোধকারীরা। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় দুই কিলোমিটার রেললাইন উপড়ে ফেলা হয়। এ সময় সেখানে থাকা একটি ট্রেনে অগ্নিসংযোগ করা হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পারাবত ট্রেনকে লক্ষ্য করে ককটেল হামলা চালানো হয়।গতকালও সংবাদকর্মীদের ওপর হামলা হয়েছে। বগুড়ায় আরটিভির গাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের পর পেট্রল ঢেলে অগ্নিসংযোগের চেষ্টা করা হয়। নোয়াখালীতে পত্রিকাবাহী গাড়ি আটকে দেওয়া হয়।সুপ্রিম কোর্টের প্রধান ফটকের সামনে আজ সোমবার দুপুরে হঠাত্ করেই বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের সঙ্গে বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের নেতা-কর্মীদের ইট-পাটকেল ও জুতা ছোড়াছুড়ি হয়। পরে লাঠিসোঁটা হাতে ক্ষমতাসীন দলের অন্য কর্মীরা গিয়ে এতে যোগ দিলে ওই এলাকায় উত্তেজনা দেখা দেয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, দুপুর পৌনে ১২টার দিকে সরকারবিরোধী ও গতকালের হামলার প্রতিবাদে স্লোগান দিতে দিতে বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা সুপ্রিম কোর্টের প্রধান ফটকের সামনে গিয়ে হাজির হন। মূল ফটকটি আগে থেকে রশি দিয়ে বন্ধ করে রাখা ছিল। বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা ফটকের ভেতরে থেকে বিক্ষোভ করছিলেন। এ সময় মত্স্যভবন-সংলগ্ন সড়ক হয়ে বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের একটি মিছিল সুপ্রিম কোর্ট অতিক্রম করছিল। মিছিল থেকে আইনজীবীদের লক্ষ্য করে যুব মহিলা লীগের কর্মীরা জুতা উঁচিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন। এ সময় আইনজীবীদের মধ্য থেকে একজন যুব মহিলা লীগের কর্মীদের লক্ষ্য করে ইট ছোড়েন। যুব মহিলা লীগের কর্মীরা তখন প্রতিপক্ষকে লক্ষ্য করে জুতা ছোড়েন। এ পরিস্থিতি চলতে থাকে কিছুটা সময়। একপর্যায়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম লীগের নেতা-কর্মীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে ওই এলাকায় যুব মহিলা লীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে যোগ দেন। তাঁরা প্রধান ফটক দিয়ে ঢুকে ভেতরে যেতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়।বর্তমানে বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা সুপ্রিম কোর্টের ভেতরে আছেন। ফটকে সতর্ক অবস্থায় আছে পুলিশ। ফটকের বাইরে সড়কে দাঁড়িয়ে আছেন যুব মহিলা লীগের নেতা-কর্মীরা।
বাগেরহাটের রামপালে কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নের ওপর স্থিতাবস্থা চেয়ে আজ রোববার হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে। স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশনা চেয়ে রিটটি করেছেন সুপ্রিম কোর্টের চারজন আইনজীবী।বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি জাফর আহমেদের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে কাল সোমবার রিটের ওপর শুনানি হতে পারে।আবেদনকারীদের আইনজীবী মনজিল মোরসেদ প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, রিট আবেদনটি দাখিল করা হয়েছে। কাল শুনানি হতে পারে।সংশ্লিষ্ট এলাকায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হলে জনজীবনে কী প্রভাব ফেলবে, তা মূল্যায়নে দেশি-বিদেশি পরিবেশবিদদের সমন্বয়ে কেন একটি কমিটি গঠন করার নির্দেশ দেওয়া হবে না—এই মর্মে রুল চাওয়া হয়েছে রিটে।কমিটির প্রতিবেদন দাখিল না করা পর্যন্ত প্রকল্প বাস্তবায়নের ওপর স্থিতাবস্থা চাওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী পরিবেশবান্ধব কোনো জায়গায় এই প্রকল্প স্থাপনের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না—এই মর্মে রুল চাওয়া হয়েছে।রিট আবেদনে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, পরিকল্পনা সচিব, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বিদ্যুত্ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যানকে বিবাদী করা হয়েছে।অনেকটা নিয়ন্ত্রিতভাবে স্কুল ব্যাংকিংয়ের নীতিমালা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নীতিমালা অনুসারে ছয় থেকে শুরু কিন্তু ১৮ বছরের কম বয়সী শিক্ষার্থীরা যেকোনো ব্যাংকে গিয়ে ১০০ টাকা জমার বিপরীতে ব্যাংক হিসাব খুলতে পারবে।ব্যাংক হিসাবে জমা করা অর্থের উৎসের আইনগত বৈধতা থাকতে হবে। ছাত্রছাত্রীদের পক্ষে পিতা-মাতা বা আইনগত অভিভাবকের মাধ্যমে হিসাবটি পরিচালনা করতে হবে।সঞ্চয়ের মাধ্যমে স্কুল ছাত্রছাত্রীদের অর্থনৈতিক তথা ব্যাংকিং কর্মকাণ্ডে যুক্ত করে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি বৃদ্ধি এবং তাদের আধুনিক ব্যাংকিং সেবা ও প্রযুক্তির সঙ্গে সম্পৃক্ত করে তুলতে স্কুল ব্যাংকিংয়ের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। ২০১০ সাল থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক তফসিলি ব্যাংকগুলোকে স্কুল ব্যাংকিং বিষয়ে বিশেষ উৎসাহ দিয়ে আসছে। আর গত মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক স্কুল ব্যাংকিং বিষয়ে নীতিমালা ব্যাংকগুলোতে পাঠিয়েছে।এ হিসাবে সরকারি ফি ছাড়া অন্য কোনো মাশুল নেওয়া যাবে না। ছাত্রছাত্রীর মাসিক বেতন পরিশোধ এবং বৃত্তি বা উপবৃত্তির অর্থ জমা করা যাবে। হিসাবের বিপরীতে এটিএম কার্ড ইস্যু করা যাবে।এটিএম কার্ডের মাধ্যমে এবং পয়েন্ট অব সেলসে মাসে সর্বোচ্চ দুই হাজার টাকা তোলা যাবে এই হিসাব থেকে। তবে অভিভাবকের অনুরোধে এ সীমা সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত বাড়ানো যাবে। হিসাবধারীর অভিভাবকের মুঠোফোনে লেনদেনের বিস্তারিত এসএমএস আকারে পাঠানোর ব্যবস্থা থাকতে হবে।নীতিমালায় বলা হয়েছে, হিসাবধারী ছাত্রছাত্রী এবং অভিভাবক বা আইনগত অভিভাবক উভয়কেই বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে। হিসাব খোলার সময় হিসাবধারী এবং হিসাব পরিচালনাকারী উভয়ের যথাযথ কেওয়াইসি (গ্রাহক সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য) নিশ্চিত হতে হবে। এ ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীর জন্ম নিবন্ধন সনদ এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিচয়পত্র বা প্রত্যয়নপত্রের সত্যায়িত অনুলিপি লাগবে। এসব তথ্য আবার বাধ্যতামূলকভাবে ব্যাংকে সংরক্ষণ করতে হবে। এ ধরনের হিসাব সঞ্চয়ী হিসাব আকারে খুলতে হবে। তবে প্রয়োজনে এ হিসাব থেকে স্থানান্তরের মাধ্যমে যেকোনো সঞ্চয়ী স্কিম খোলা যাবে।ব্যাংকগুলোকে প্রতি তিন মাস পর এ কার্যক্রমের অগ্রগতি বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠাতে হবে। প্রতি ত্রৈমাসিকের পরবর্তী ১৫ দিনের মধ্যে এ প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে। এ ছাড়া ব্যাংকগুলোর বার্ষিক প্রতিবেদন এবং ওয়েবসাইটে স্কুল ব্যাংকিং-সংক্রান্ত কার্যক্রমের হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করার কথাও নীতিমালায় রয়েছে।গল্পটা শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হককে নিয়ে; তবে এর সত্য-মিথ্যা আমার পক্ষে যাচাই করা সম্ভব হয়নি।একবার এক নির্বাচনী জনসভায় ভাষণ দেওয়ার সময় একটা বই হাতে নিয়ে হক সাহেব বললেন, ‘আমি পবিত্র কোরআন হাতে নিয়ে বলছি, নির্বাচিত হলে আপনাদের প্রত্যেকের বকেয়া কৃষিঋণ মাফ করে দেব।’ ভাষণ শেষ হলে তাঁর এক সহকারী সবিস্ময়ে প্রশ্ন করলেন, ‘স্যার, একেবারে কোরআন শরিফ হাতে নিয়ে এমন একটা ওয়াদা করে ফেললেন!’ হক সাহেব মুচকি হেসে বললেন, ‘কোরআন শরিফ কে বলল, আমি তো রুমাল দিয়ে প্যাঁচানো এক টুকরো কাঠ সবাইকে দেখালাম।’জর্জ অরওয়েল একসময় মন্তব্য করেছিলেন, রাজনীতিকদের ভাষা আমাদের নিত্যদিনের ভাষা থেকে ভিন্ন। তাঁদের কাজই হলো মিথ্যাকে সত্য বানানো, দরকার হলে দিনে-দুপুরে খুনকেও ‘সম্মানজনক’ কাজ বলে প্রমাণ করে ছাড়া। এমনকি একদম শুদ্ধ বাতাসকেও তাঁরা ভারী ওজনের জিনিস বানাতে পারেন।হক সাহেব ও জর্জ অরওয়েল উভয়কেই মনে পড়ল বাংলাদেশের বিডিআর বিদ্রোহ নিয়ে ‘আইসিএনএনের একটি প্রতিবেদন নিয়ে বাংলাদেশের রাজনীতিকদের জল ঘোলা করার চেষ্টা দেখে। সপ্তাহ দুয়েক আগে আইসিএনএনের ওয়েবসাইটে একটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, ২০০৯ সালে বিডিআরের সদর দপ্তরে যে রক্তক্ষয়ী বিদ্রোহ অনুষ্ঠিত হয়, তার পেছনে পাকিস্তানের সামরিক গোয়েন্দা বিভাগ আইএসআইয়ের হাত রয়েছে। বাংলাদেশের বিরোধীদলীয় রাজনীতিক সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীর মাধ্যমে গোয়েন্দা দপ্তরটি ৪০ কোটি টাকা বিতরণ করে। মূল লক্ষ্য ছিল, এই টাকা ব্যবহার করে বিডিআরের সদস্যদের মধ্যে সদ্য নির্বাচিত হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ উসকে দেওয়া এবং সেই সরকারের পতন ঘটানো।অন্য আলোচনায় যাওয়ার আগে আইসিএনএন জিনিসটা কী, তা বোঝা দরকার। আইসিএনএন আমেরিকান স্যাটেলাইট টেলিভিশন স্টেশন ‘কেবল নিউজ নেটওয়ার্ক’ (সিএনএন)-এর নিজস্ব ওয়েবসাইটের অন্তর্ভুক্ত হলেও এতে প্রকাশিত কোনো প্রতিবেদন সিএনএনের নিজস্ব প্রতিনিধিদের পাঠানো নয়। দেশে-বিদেশে যে কেউ তালিকাভুক্তির পর সাম্প্রতিক কোনো বিষয়ে নিজস্ব সূত্র ব্যবহার করে প্রতিবেদন পাঠাতে পারেন। প্রতিবেদনের বিষয়বস্তুর জন্য সিএনএন দায়ী নয়। এমনকি অধিকাংশ ক্ষেত্রে এসব প্রতিবেদন সিএনএন সম্পাদনা বা তথ্যশুদ্ধিরও প্রয়োজন দেখে না। কোনো প্রতিবেদন অসত্য বা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিবেচিত হলে এবং পাঠকমহল সিএনএনকে সে ব্যাপারে সতর্ক করে দিলে সেসব প্রতিবেদন প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।বাংলাদেশের বিডিআর বিদ্রোহ নিয়ে আইসিএনএনের প্রতিবেদনটি সে রকমই একটি প্রতিবেদন। খবরটি সত্য নয়, সে কথা জানা মাত্রই সিএনএন প্রতিবেদনটি তার ওয়েবসাইট থেকে প্রত্যাহার করে নেয়।খবরটি যে সত্য নয়, অথবা সিএনএন নিজে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করেনি, এ কথা সরকারি নেতা-নেত্রীদের না জানার কথা নয়। তবু তর্কের খাতিরে ধরা যাক, সিএনএন ও আইসিএনএনের মধ্যে যে তফাত আছে, সে কথা আমাদের রাজনৈতিক নেতারা জানেন না। কিন্তু এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ ও গুরুতর বিষয় জানা মাত্রই সরকারের নিরাপত্তাব্যবস্থা সজাগ হবে এবং তা নিয়ে তদন্ত করবে, সেটাই স্বাভাবিক। সরকারপ্রধান এ নিয়ে তাঁর নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের সঙ্গে কথা বলবেন, এই প্রতিবেদনের কোনো একটি বিষয়ে যদি কণামাত্র সত্যতা থাকে, তা তন্নতন্ন করে খুঁজে পর্যাপ্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করবেন, এমন আশা দেশের মানুষ করতেই পারে। এমন একটি ষড়যন্ত্র হয়েছিল, তা জেনেও যদি দেশের সরকার বা তার গোয়েন্দা-নিরাপত্তা বিভাগ কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করে, তাতে শুধু তাদের দায়িত্বহীনতা নয়, অযোগ্যতাও ধরা পড়ে। ঘটনা ঘটেছে চার বছর আগে। আইসিএনএন না জানানো পর্যন্ত সে খবর দেশের গোয়েন্দা বিভাগ কেন জানল না, বা জেনে থাকলেও তা সরকারপ্রধানের গোচরে আনল না, এমন প্রশ্ন তোলাও অযৌক্তিক নয়। এমন অভিযোগে দু-চারজনের চাকরি যাবে, সেটাই স্বাভাবিক।কিন্তু এসবের কোনো কিছুই হয়নি। সবচেয়ে বিস্ময়ের কথা, প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয় বিডিআর বিদ্রোহের ওপর দীর্ঘ তদন্ত ও পর্যালোচনার পর আদালতের রায় প্রকাশের অব্যবহিত পরে। রায়ে বিডিআর বিদ্রোহের সঙ্গে বিদেশি গোয়েন্দা দপ্তরের কোনো সংযোগ আছে, অথবা উল্লেখিত বিরোধী রাজনীতিকটি জড়িত, সে কথার কোনো উল্লেখ নেই। তারপর দেশের সরকারপ্রধান জনসভায় প্রতিবেদনটির সূত্র উল্লেখ করে অপ্রমাণিত অভিযোগগুলো উপস্থিত করলেন। আইন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত একজন উপমন্ত্রী আলাদাভাবে সাংবাদ সম্মেলন করে সেই একই অভিযোগের পুনরাবৃত্তি করলেন। দেশের প্রতিটি পত্রিকায় সে খবর কমবেশি ফলাও করে ছাপাও হলো।প্রতিবেদনটি যে সত্য নয়, সে কথা সরকার না-ও জানতে পারে। এতে তাদের অদক্ষতা প্রমাণিত হয়, কিন্তু মিথ্যাচারের জন্য তাদের অভিযুক্ত করা যায় না। কিন্তু খবরটি সত্য নয়, সে কথা সিএনএন নিজেই জানিয়েছে। তার পরও সরকারের কোনো পর্যায়ের কেউই তাঁদের উত্থাপিত অভিযোগ প্রত্যাহার করেননি, অথবা এই অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য দুঃখ প্রকাশও করেননি। কিছু পত্রিকা অবশ্য সিএনএনকে উদ্ধৃত করে লিখেছে, খবরটি ভিত্তিহীন। কিন্তু যে গুরুত্বের সঙ্গে প্রথম খবরটি ছাপা হয়েছিল, ঠিক সেই একই রকম গুরুত্বের সঙ্গে খবরের ভিত্তিহীনতার প্রসঙ্গটি স্থান পায়নি। ফলে, যাঁরা প্রথম খবরটি পড়েছেন, কিন্তু পরের ‘রিজয়েন্ডার’ পড়েননি, তাঁরা মনে করবেন খবরটি সঠিক ছিল।এই লেখা এ পর্যন্ত যাঁরা পড়েছেন, তাঁদের এবার দয়া করে লেখার শুরুতে হক সাহেবের গল্পটা মনে করতে বলি। রাজনীতিক মাত্রই মিথ্যা বলেন, যেকোনো উপায়ে, যেকোনো মূল্যে নির্বাচিত হওয়াই তাঁর লক্ষ্য। হক সাহেব সম্ভবত সে কাজই করেছিলেন। কোনো কোনো মিথ্যা আছে, প্লেটোর ভাষায়, তাকে ‘মহৎ ও সৎ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে বিবেচনা করা যায়। প্লেটো বিশ্বাস করতেন, যাঁরা দেশ চালাবেন, তাঁরা দেশ চালানোর স্বার্থ দু-চারটা মিথ্যা বলতেই পারেন। মিথ্যা কথা বলে যদি দশের ভালো হয়, তাহলে মিথ্যা বলা কোনো অপরাধ নয়। হক সাহেবের বলা মিথ্যাকে আমরা সেই পর্যায়ভুক্ত করতে পারি। আমরা জানি, অবিভক্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে কৃষিঋণ ও বকেয়া খাজনা মওকুফের ব্যবস্থা তিনি করেছিলেন।কিন্তু এখানে মিথ্যার যে উদাহরণটি আমাদের বিবেচ্য, তাকে ‘নোব্ল লাই’ বা মহৎ মিথ্যা বলতে আমার দ্বিধা আছে। এ হচ্ছে জেনে-শুনে ডাহা মিথ্যা প্রচার করা, যার একমাত্র উদ্দেশ্য নির্বাচন মাথায় রেখে রাজনৈতিক ফায়দা আদায়। কিন্তু চুরির মতো মিথ্যার সমস্যা হলো, ধরা না পড়লে তার মস্ত ফায়দা রয়েছে, আর ধরা পড়ে গেলে বমাল শ্রীঘর। নিজের অজ্ঞতা বা ভুল স্বীকার করে নিলে অবশ্য অপরাধ বহুলাংশে লাঘব সম্ভব। আমাদের রাজীতিকেরা অবশ্য কখনোই কোনো ব্যাপারে নিজেদের দোষ স্বীকার করেন না। তাঁরা অকাতরে মিথ্যা বলবেন এবং ধরা পড়ে যাওয়ার পরে হয় সেই একই মিথ্যা জপে যাবেন, অথবা কথিত মিথ্যার ব্যাপারে পুরোপুরি ‘স্পিকটি নট’, মুখে কুলপ এঁটে থাকবেন।এ অবস্থায় দেশের রাজনীতিকদের চোখে আঙুল দিয়ে তাঁদের মিথ্যা কথন ধরিয়ে দেওয়ার জন্য আমাদের তথ্যমাধ্যমের ওপর নির্ভর করা ছাড়া উপায় নেই। সরকারি নেতা-নেত্রীদের বক্তব্য তারা যে গুরুত্বের সঙ্গে প্রকাশ-প্রচার করে, সেই একই গুরুত্বের সঙ্গে তাঁদের বলা মিথ্যাচার তুলে ধরাও সংবাদমাধ্যমের দায়িত্বের অন্তর্গত। আমেরিকায় দেখেছি, অধিকাংশ পত্রপত্রিকা ও টিভি নেটওয়ার্ক রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীর বক্তব্যে কোনটা সত্য, কোনটা মিথ্যা, তা যাচাইয়ের জন্য ‘ফ্যাক্ট চেক’-এর ব্যবস্থা করে থাকে। যেমন ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকায় ‘ফ্যাক্ট চেকার’ নামের একটি নিয়মিত কলাম রয়েছে।পাঠকদের নিশ্চয় মনে আছে, ‘পিনোকিও’ গল্পে মিথ্যা বললেই তার নাকটি লম্বা হয়ে যেত। সেই গল্প মাথায় রেখে ওয়াশিংটন পোস্ট হয় ‘সত্য’, এই চেক মার্ক (হু), অথবা এক থেকে চার ‘পিনোকিও’ দিয়ে থাকে। সামান্য ভুলের জন্য এক পিনোকিও, ডাহা মিথ্যার জন্য চার পিনোকিও।প্রিয় পাঠক, আইসিএনএনের গাঁজাখুরি গল্প নিয়ে যে কাণ্ড হলো, তার জন্য আপনারা বাংলাদেশের রাজনীতিকদের জন্য কয়টা ‘পিনোকিও’ দেবেন?নিউইয়র্কহাসান ফেরদৌস: প্রাবন্ধিক ও কলাম লেখক।জাতীয় প্রেসক্লাবে জঙ্গিরা মিটিং করে—পুলিশের কাছে এমন তথ্য আছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার বেনজীর আহমেদ। আজ সোমবার মিন্টো রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।গতকাল রোববার পুলিশের উপস্থিতিতে প্রেসক্লাবে হামলা হলো কীভাবে—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে কমিশনার বলেন, ‘আমাদের কাছে তথ্য আছে, প্রেসক্লাবে জঙ্গিরা মিটিং করে। একটি গোষ্ঠী রাজনৈতিক স্বার্থে ঢাল হিসেবে প্রেসক্লাবকে ব্যবহার করে। জাতীয় প্রেসক্লাব সবার। একটি বিশেষ গোষ্ঠী এটাকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করতে পারে না।’সুপ্রিম কোর্টে আইনজীবীদের ওপর যুবলীগের হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে বেনজীর আহমেদ বলেন, ‘পুলিশ সুপ্রিম কোর্টের অনুমতি নিয়ে ভেতরে ঢুকেছে। সেখানে আইনজীবীদের আড়ালে বহিরাগতরা অবস্থান নিয়েছিল। এ ঘটনায় সুপ্রিম কোর্টকে একটি তদন্ত কমিটি গঠনের অনুরোধ করব।’বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়ার বাড়ির সামনে বালুভর্তি ট্রাক কেন রাখা হয়েছে—জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাই না।’পুলিশের উপস্থিতিতে সরকারদলীয় কর্মীরা কীভাবে লাঠিমিছিল করেছে—এমন প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, এটা শুধু লাঠি না। লাঠির মাথায় পতাকা ছিল। এটা পতাকা মিছিল ছিল।চলতি ইংরেজি বছরের শেষ দিনে থার্টি ফার্স্ট উপলক্ষে নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়ে এই ব্রিফিং করা হয়। সেখানে আরও উপস্থিত ছিলেন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার ইব্রাহীম ফাতেমী, মিলি বিশ্বাস ও শেখ মারুফ হাসান।থার্টি ফার্স্ট নাইটের নিরাপত্তাডিএমপি কমিশনার জানান, গুলশান, বনানী ও বারিধারা এলাকায় রাত আটটার পর থেকে বেশ কিছু সড়ক দিয়ে ঢোকা যাবে, কিন্তু বের হওয়া যাবে না। রাত আটটার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যলয় এলাকায় অবস্থান করা লোকজন ছাড়া বাইরের কেউ ঢুকতে ও বেরোতে পারবেন না। কোথাও কোনো লাইসেন্স করা অস্ত্রও বহন করা যাবে না।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, গুলশান, বনানী ও বারিধারা এলাকার বাসিন্দাদের রাত আটটার আগেই ঘরে ফেরার অনুরোধ করেছেন বেনজীর। হাতিরঝিলেও সব সড়ক বন্ধ হয়ে যাবে। একই সঙ্গে সবাইকে তাঁর প্রয়োজনীয় পরিচয়পত্র সঙ্গে রাখতে বলা হয়েছে।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও ১৪ দলের কেন্দ্রীয় মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, ‘আমরা একতরফা সংসদ নির্বাচন চাই না।’আজ রোববার দুপুরে ধানমন্ডির আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে ১৪ দলের বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।এর আগে গতকাল যুবলীগের আলোচনা সভায় তিনি বলেছিলেন, ‘আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে একাই নির্বাচন করব।’ এ মন্তব্যের এক দিন পরই আজ স্ববিরোধী বক্তব্য দিলেন নাসিম।নির্বাচনে ‘একলা চল’ বলতে কী বোঝাতে চেয়েছেন—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ‘একলা চল বলতে আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে নির্বাচনের কথা বোঝাতে চেয়েছি।’বিএনপি যদি সংবিধানের অধীনে নির্বাচনে না আসে, তবে আওয়ামী লীগ কি একা নির্বাচন করবে—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সংবিধান মেনে চলা সবার দায়িত্ব। এটা কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর ব্যাপার নয়।সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নাসিম বলেন, ‘সবাইকে নিয়ে নির্বাচন করতে চাই। সবাইকে নিয়ে অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হোক এটা আমরা চাই। ১৪ দল একতরফা নির্বাচন করতে চায় না।’ তিনি বলেন, বিরোধী দল সংসদে এসে আগামী নির্বাচন নিয়ে প্রস্তাব দিতে পারে।যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষ নিয়ে বিএনপি নিজেদের মুখোশ উন্মোচিত করেছে মন্তব্য করে নাসিম বলেন, কাদের মোল্লার রায় একটি ঐতিহাসিক রায়। এতে জনগণের প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে।সংবাদ সম্মেলন থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৬৭তম জন্মদিন ও সাউথ-সাউথ পুরস্কার লাভের জন্য ১৪ দলের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানানো হয়।১৪ দলের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সাধারণ সম্পাদক শরীফ নূরুল আম্বিয়া, গণআজাদী লীগের সভাপতি আবদুস সামাদ, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, উপদপ্তর সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস প্রমুখ।ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বিশেষ সাধারণ সভার (ইজিএম) ওপর নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আদালতে করা আবেদনটি প্রত্যাহার করা হয়েছে। গতকাল বুধবার আবেদনকারী নিজেই সেটি প্রত্যাহার করে নেন। এর ফলে ইজিএম অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে আর কোনো আইনি বাধা রইল না।আদালতের নিষেধাজ্ঞার কারণে গত মঙ্গলবার সব আয়োজন সম্পন্ন হওয়ার পরও ইজিএমটি বাতিল হয়। ওই ইজিএমে স্টক এক্সচেঞ্জের মালিকানা থেকে ব্যবস্থাপনা পৃথক্করণের (ডিমিউচুয়ালাইজেশন) অনুমোদিত কর্মসূচি বিশেষ সিদ্ধান্ত হিসেবে গ্রহণের কথা ছিল। এর পরদিনই আদালতে করা আবেদন প্রত্যাহার করে নেন ডিএসইর সাবেক সভাপতি আহমেদ ইকবাল হাসান।জানতে চাইলে আহমেদ ইকবাল হাসান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি মোটেই ডিমিউচুয়ালাইজেশনের বিরুদ্ধে নই। আমিও চাই সুচারুভাবে এটি সম্পন্ন হোক। আদালতে আমি যে আবেদন করেছিলাম, সেটি ডিমিউচুয়ালাইজেশনের বিরুদ্ধে ছিল না। কোম্পানি আইনের কিছু অসংগতি তুলে ধরে আমি এই আবেদন করেছিলাম। এর মাধ্যমে ডিমিউচুয়ালাইজেশনের পরিপূর্ণ সুশাসন নিশ্চিত করায় ছিল আমার প্রত্যাশা। ডিমিউচুয়ালাইজেশন প্রক্রিয়া যাতে বাধাগ্রস্ত না হয়, সে জন্য এবং ডিএসইর এক পরিচালকের অনুরোধে শেষ পর্যন্ত আমি আবেদনটি প্রত্যাহার করেছি।’যোগাযোগ করা হলে আবেদনকারীর আইনজীবী আহসানুল করিম প্রথম আলোকে বলেন নিষেধাজ্ঞার আবেদন প্রত্যাহারের বিষয়টি অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিসকে অবহিত করা হয়েছে। এটি প্রত্যাহারের ফলে এখন ইজিএম অনুষ্ঠানে আর কোনো বাধা নেই।এদিকে আদালতের নিষেধাজ্ঞাসংক্রান্ত আবেদনটি প্রত্যাহার হওয়ায় এখন দ্রুততম সময়ে আবারও নতুন করে ইজিএম অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নিচ্ছে ডিএসই।এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএসইর সভাপতি আহসানুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, নিষেধাজ্ঞার আবেদন প্রত্যাহারের পর এখন আইনজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে দ্রুততম সময়ের মধ্যে নতুন করে ইজিএম অনুষ্ঠানের উদ্যোগ নেওয়া হবে।তবে ডিএসইর সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, নিষেধাজ্ঞার আবেদন প্রত্যাহারসংক্রান্ত কোনো চিঠি এখনো তাঁদের হাতে পৌঁছায়নি। এই অবস্থায় ইজিএমের পরবর্তী তারিখ নির্ধারণের জন্য আজ বৃহস্পতিবার পরিচালনা পর্ষদের এক সভা আহ্বান করা হয়েছে। সভায় ইজিএমের পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করা হতে পারে।আইন অনুযায়ী, ডিমিউচুয়ালাইজেশন কর্মসূচি অনুমোদনপ্রাপ্তির ৩০ দিনের মধ্যে ইজিএম অনুষ্ঠানের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। পাশাপাশি এই সময়ের মধ্যে প্রাথমিক শেয়ারধারীদের মধ্যে ৪০ শতাংশ শেয়ার বণ্টন, ব্লক হিসাবে ৬০ শতাংশ শেয়ার সংরক্ষণ এবং স্টক এক্সচেঞ্জের বর্তমান সদস্যদের মধ্যে লেনদেনের নিবন্ধন সনদ বা ট্রেক বণ্টন করতে হবে।ডিএসই জানিয়েছে, আইনে নির্ধারিত ৩০ দিনের সময়সীমা গতকাল শেষ হয়েছে। কিন্তু আদালতের নিষেধাজ্ঞার কারণে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এই ইজিএম সম্পন্ন করা গেল না।প্রায় ২৫ লাখ টাকার ক্ষতি: মঙ্গলবার বিকেল পাঁচটায় রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলের বলরুমে ইজিএমের আয়োজন করেছিল ডিএসই। ইজিএম শেষে সদস্যদের নিয়ে আলাদা একটি সম্মেলনও হওয়ার কথা ছিল। ওই সম্মেলনে সদস্যদের মধ্যে লেনদেনের নিবন্ধন সনদ, শেয়ারের বরাদ্দপত্র এবং ৬০ শতাংশ শেয়ার ব্লক হিসেবে সংরক্ষণের বিষয়ে প্রত্যেক সদস্যকে একটি করে নিশ্চয়তাপত্রও দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল। এ লক্ষ্যে সব আয়োজন চূড়ান্তও করা হয়। সেই সঙ্গে সদস্যদের রাতের খাবারেরও আয়োজন করা হয়।ডিএসইর সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, এই পুরো আয়োজনে প্রায় ২৫ লাখ টাকা খরচ হয়। ডিএসইর তহবিল থেকেই এই অর্থের সংস্থান করা হয়েছে। কিন্তু শেষ মুহূর্তে ইজিএম অনুষ্ঠিত না হওয়ায় এই অর্থের বড় অংশই ‘অপব্যবহার’ হলো।সাফল্যের কোনো সীমা নেই। সেটাই যেন বোঝাতে চাইছে বায়ার্ন মিউনিখ। চ্যাম্পিয়নস লিগের নকআউট পর্বের টিকিট হাতে এসে গেছে আগেই, হারলে তাই বিশেষ কোনো ক্ষতি ছিল না। কিন্তু জিতলে যে নতুন রেকর্ড! মস্কোতে পেপ গার্দিওলার দল সেই রেকর্ডও নিজেদের করে নিল।নকআউট পর্ব নিশ্চিত ছিল না রিয়াল মাদ্রিদ, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড বা পিএসজির। কিন্তু সেটা পেতে সমস্যা হতে পারে এমন সংশয় দেখা যায়নি কখনো। স্বছন্দেই পরের রাউন্ডে উঠে গেল ইউরোপের তিন পরাশক্তি। এর মধ্যে একটা নতুন রেকর্ড গড়ল রিয়ালও।সংশয় ছিল কেবল জুভেন্টাসকে নিয়ে। খাদের কিনারায় চলে যাওয়া সিরি ‘আ’ চ্যাম্পিয়নরা অবশ্য সে সংশয় অনেকটাই দূর করে দিয়েছে পরশু কোপেনহেগেনকে হারিয়ে। জয় পেয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি, বেনফিকা আর শাখতার দোনেৎস্কও। টানা ১০ বায়ার্নেররিবেরি, শোয়েনস্টেইগার, মানজুকিচ ছিলেন না। অবশ্য কারোরই দরকার পড়েনি। আরিয়েন রোবেন, মারিও গোটশে ও টমাস মুলারের গোলে সিএসকেএ মস্কোকে হেসেখেলেই ৩-১ গোলে হারিয়েছে বায়ার্ন। মস্কোর তীব্র ঠান্ডা, অসমতল ও পিচ্ছিল মাঠ কিছুই বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি ওদের রেকর্ডের পথে। চ্যাম্পিয়নস লিগের টানা ১০ ম্যাচ জয়ের নতুন রেকর্ডটা হওয়ার পর রোবেন দাবি করলেন এটা নাকি তাদের মূল লক্ষ্য ছিল না, ‘আমরা আগেও বলেছি, বায়ার্ন রেকর্ডের জন্য খেলে না। আমরা খেলি শিরোপার জন্য।’ দলের খেলোয়াড়দের কাছ থেকে প্রত্যাশা আরও অনেক বেশি বলেই কিনা উচ্ছ্বাসটা খুব নিয়ন্ত্রিত কোচ গার্দিওলারও, ‘আমি গর্বিত। টানা ১০ জয় আসলেই অসাধারণ।’ রিয়ালের রেকর্ড২৬ মিনিটে লাল কার্ড দেখে বেরিয়ে যান সার্জিও রামোস। বাকি প্রায় এক ঘণ্টাই একজন কম নিয়ে খেলেছে রিয়াল মাদ্রিদ। তবে গ্যালাতাসারাইকে হারানোর জন্য ১০ জনই যথেষ্ট—প্রমাণ করেছে রিয়াল। ৩৭ মিনিটে গ্যারেথ বেলের গোলের পরের মিনিটেই উমুত বুলুত গোল শোধ করে একটু নাটকীয়তার আভাস দিয়েছিলেন। ওই পর্যন্তই। আরবেলোয়া, ডি মারিয়া আর ইসকো মিলে তার্কিশ চ্যাম্পিয়নদের নাচিয়ে ছেড়েছেন সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে। চ্যাম্পিয়নস লিগে টানা ৩০ ম্যাচে গোল করার রেকর্ড আর এমন জয়ের পর খেলোয়াড়দের নিয়ে মুগ্ধ হতেই পারেন কার্লো আনচেলত্তি, ‘১০ জন নিয়ে খেলা সহজ নয় মোটেও। কিন্তু ছেলেরা খুব সাহসের সঙ্গে খেলেছে।’ ভাগ্য জুভেন্টাসের হাতেইকোনো ম্যাচে হারলেই বাদ—এমন অবস্থায় খেলতে নেমে যদি কেউ হ্যাটট্রিক করে দলকে জেতান তাঁর অনুভূতিটা কেমন হতে পারে? আরতুরো ভিদালের মুখেই শুনুন, ‘আমি এই বলটা বাড়ি নিয়ে যাব। আমার ছেলেকে উপহার দিয়ে বলব, আমি জিতে এসেছি।’ কোপেনহেগেনের বিপক্ষে জুভেন্টাসের জয়ের নায়ক এই চিলিয়ান ফুটবলারের উচ্ছ্বাসের আরেকটা কারণ এটাই তাঁর ক্যারিয়ারের প্রথম হ্যাটট্রিক। দারুণ জয়ে ঘুরে দাঁড়ানো জুভেন্টাস ইস্তাম্বুলে শেষ ম্যাচে গ্যালাতাসারাইয়ের সঙ্গে ড্র করলেই যাবে পরের রাউন্ডে। কোচ আন্তোনিও কন্তের বুক থেকে একটা বিশাল পাথর যেন নেমে গেছে, ‘এখন আমাদের ভাগ্য আমাদের হাতে।’ ইউনাইটেডের মৌসুম-সেরাগত জুলাইয়ে দায়িত্ব নেওয়ার পর ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড কোচ হিসেবে ডেভিড ময়েসের সম্ভবত সবচেয়ে সুখের দিনটা ছিল পরশু। পাঁচ মাস ধরে এই ইউনাইটেডকে দেখার জন্যই তো চাতক পাখির মতো অপেক্ষায় সমর্থকেরা। রেড ডেভিলদের এমন দুর্দান্ত একটি রাত উপহার দেওয়ার মূল কৃতিত্ব অবশ্য স্ট্রাইকার ওয়েইন রুনির। বেয়ার লেভারকুসেনের জালে দেওয়া ইউনাইটেডের ৫ গোলের চারটিরই জোগান দিয়েছেন রুনি। বিশাল জয়ে পরের রাউন্ড নিশ্চিত হওয়ায় উচ্ছ্বসিত ময়েস, ‘এটা সম্ভবত এই মৌসুমে আমাদের সেরা পারফরম্যান্স। অ্যাওয়ে ম্যাচে পাঁচ গোল করা আসলেই অসাধারণ।’ শততম ম্যাচে ইব্রার গোলশুধু ড্র হলেই চলত। কিন্তু চ্যাম্পিয়নস লিগের নিজের শততম ম্যাচ স্মরণীয় করে রাখতে কিছু একটা করা উচিতই ছিল। জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচ গোল করলেন ৭ মিনিটে। অলিম্পিয়াকসের হয়ে কোসতাস মানোলাস গোলটি শোধ করেন শেষ বাঁশির ১০ মিনিট আগে। কাভানি কেন সেটা মেনে নেবেন! শেষ মুহূর্তে গোল করে ঠিকই দলকে জেতালেন পিএসজি স্ট্রাইকার। গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই পরের রাউন্ড নিশ্চিত করল ফরাসি ক্লাব। এএফপি।এক নজরেলেভারকুসেন ০ : ৫ ইউনাইটেডশাখতার ৪ : ০ সোসিয়েদাদরিয়াল ৪ : ১ গ্যালাতাসারাইজুভেন্টাস ৩ : ১ কোপেনহেগেনপিএসজি ২ : ১ অলিম্পিয়াকসআন্ডারলেখট ২ : ৩ বেনফিকাসিএসকেএ মস্কো ১ : ৩ বায়ার্নম্যান সিটি ৪ : ২ প্লজেন* স্বাগতিক দল প্রথমেরেকর্ডের রাতচ্যাম্পিয়নস লিগে টানা ১০ ম্যাচ জয়ের নতুন রেকর্ড বায়ার্ন মিউনিখের। ৯ জয়ের আগের রেকর্ডটি বায়ার্ন কোচ পেপ গার্দিওলার সাবেক দল বার্সেলোনার।৩০ ম্যাচে গোল করে চ্যাম্পিয়নস লিগে টানা সবচেয়ে বেশি ম্যাচে গোলের রেকর্ড রিয়াল মাদ্রিদের। টানা ২৯ ম্যাচে গোলের রেকর্ড ছিল বার্সেলোনার।চ্যাম্পিয়নস লিগের গ্রুপ পর্বে সবচেয়ে বেশি গোলের রেকর্ড (৮টি) ছুঁলেন ইব্রাহিমোভিচ। সমান গোল আছে রোনালদো, নিস্টলরয়, ক্রেসপো আর ইনজাগির।গতকাল রোববার রাতে আকস্মিকভাবে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় বাংলা চলচ্চিত্রের প্রখ্যাত অভিনেত্রী সুচিত্রা সেনকে কলকাতার বেলভিউ হাসপাতালের নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ) স্থানান্তর করা হয়েছে।চিকিত্সকেরা জানিয়েছেন, তীব্র শ্বাসকষ্ট ও অস্বাভাবিক হূত্স্পন্দন দেখা দেওয়ায় রাত ১০টা নাগাদ তাঁকে আইসিইউতে (নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র) স্থানান্তর করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।রোববার সন্ধ্যায় সুচিত্রা সেনের চিকিত্সক দলের সদস্য সমরজিত্ নস্কর সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, রোববার দুপুর পর্যন্ত সুচিত্রা সেন স্বাভাবিক খাবার খেয়েছিলেন। যদিও শ্বাসকষ্টের কারণে তাঁকে কয়েক দফায় বেশ কিছুক্ষণ অক্সিজেন দেওয়া হয়েছিল। রাতে এই শ্বাসকষ্ট আরও বেড়ে যায়। ওষুধ দিয়ে পরিস্থিতি সামলানোর চেষ্টা করেন চিকিত্সকেরা। রাত ১০টা নাগাদ তাঁকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। বাড়ানো হয় অক্সিজেন দেওয়ার পরিমাণ। রাত পর্যন্ত তাঁর অবস্থা পুরোপুরি স্থিতিশীল হয়নি। হূদযন্ত্রের গতিও ছিল অস্বাভাবিক।শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা দিলে ২৩ ডিসেম্বর সুচিত্রা সেনকে কলকাতার বেলভিউ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) রাখা হয় তাঁকে। তখন তিনি সর্দি, জ্বর, কাশি আর শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন।বেলভিউ হাসপাতালের একটি সূত্রের বরাতে পিটিআই জানিয়েছে, সুচিত্রা সেনের শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন। তাঁর ফুসফুসে পানি জমেছে। ডায়াবেটিস থাকায় তাঁর শারীরিক অবস্থা আরও বেশি জটিল আকার ধারণ করেছে।হাসপাতালে ডা. সুব্রত মৈত্রের তত্ত্বাবধানে আছেন সুচিত্রা সেন। তাঁর শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ ও প্রয়োজনীয় চিকিত্সার দেওয়ার জন্য পাঁচ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয় ২৭ ডিসেম্বর শুক্রবার। মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাঁকে চিকিত্সা দেওয়া হচ্ছে। সুচিত্রা সেনের বয়স এখন ৮২।
কক্সবাজারের রামু, উখিয়া ও টেকনাফের বৌদ্ধপল্লিতে হামলা চালিয়ে ১৯টি মন্দির ধ্বংস করার এক বছরপূর্তি আজ রোববার।বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে এ দিনটিকে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা কালো দিবস হিসেবে পালন করছেন।এ উপলক্ষে এক বছর পর রামু সদরের শ্রীকোল গ্রামে শুরু হয়েছে বৌদ্ধদের মিলনমেলা।এ দিবসটি উপলক্ষে হিংসা ত্যাগ করে অহিংসার মাধ্যমে মানুষের ভালোবাসা জয় করার আহ্বান জানিয়েছেন বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা।আজ সকাল নয়টায় রামু কেন্দ্রীয় সীমাবিহারের অধ্যক্ষ সত্যপ্রিয় মহাথেরোর সভাপতিত্বে শুরু হয় মহাসংঘ দান।এখানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ভিক্ষুদের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা ধর্মসেন মহাথেরো।আরও বক্তব্য রাখেন সংঘপ্রিয় মহাথেরো, জ্যোতিপ্রিয় ভিক্ষু ও সারমেত্র থেরো।এই মহাসংঘ দান অনুষ্ঠানেই বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা এ আহ্বান জানান।এর আগে রামুর শ্রীকোল গ্রামের স্থানীয় লালচিং ও সাদাচিং বিহারে ভোর পাঁচটায় বৌদ্ধ পূজা পালন করার মধ্য দিয়ে শুরু হয় আজকের কর্মসূচি।জানা গেছে, আজ বেলা আড়াইটায় বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা একটি শান্তি শোভাযাত্রা করবেন।এরপর বেলা তিনটার দিকে স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হবে।এই সভায় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা এবং আইন ও সালিশ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক সুলতানা কামাল, বিশিষ্ট আইনজীবী সারা হোসেন ও তেল-গ্যাস-খসিজ সম্পদ ও বিদ্যুত্-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্যসচিব আনু মুহাম্মদসহ আরও অনেকেই উপস্থিত থাকবেন।আজ থেকে এক বছর আগে অর্থাত্ ২০১২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে ভয়াবহ হামলায় এসব মন্দিরসহ আশপাশের অনেক ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা।সরকারি খরচে সেনাবাহিনীর দায়িত্বে রামু, উখিয়া ও টেকনাফে ১৯টি মন্দির নতুন করে নির্মাণ করা হয়েছে।এখন দলে দলে বুদ্ধের অনুসারীরা আসছেন, আসছেন পর্যটকও।ফেসবুকে আপত্তিকর ছবি যুক্ত করে ধর্মীয় অবমাননার অভিযোগ তুলে এ হামলা চালানো হয়।নতুন বিহার, নতুন বুদ্ধমূর্তি ও বাড়িঘর পেয়ে আপাতত সবাই খুশি।তবে বৌদ্ধধর্মাবলম্বীদের মনের ক্ষত রয়ে গেছে।সেদিনের হামলার ক্ষতিটা শুধু বৈষয়িক বা বস্তুগতই ছিল না, আঘাতটা তীব্রভাবে লাগে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের মনে।তাঁদের বিশ্বাস টলে যায় আর চুরমার হয়ে যায় নিরাপত্তার বোধও।রাজধানীর মহাখালীর গ্যালারি কসমসের নতুন প্রদর্শনীকক্ষে চলছে ‘রিদম অব জায়লোগ্রাফি’ শিরোনামে ১০ দিনের দলীয় প্রদর্শনী। ১৭ জন শিল্পীর তেলরং, জলরং ও ছাপচিত্রের ৪৫টি কাজ এই প্রদর্শনীতে তুলে ধরা হয়েছে।প্রদর্শনীতে স্থান পাওয়া শিল্পকর্মগুলো কসমস অতেলিয়ার ৭১ প্রিন্টমেকিং স্টুডিওতে অধ্যাপক আমিরুল মোমেনিন চৌধুরীর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত ছাপচিত্র কর্মশালার কাজ। প্রদর্শনীতে অংশ নিয়েছেন আফরোজা জামিল, আলতাফুন্নেসা রিতা, আজাদী পারভীন, এমদাদুল হক, কাজী ইফ্ফাত নেওয়াজ, লামিয়া আজাদ, লুত্ফুন নাহার, মো. মুসফিক আক্তার, মেহেদী হাসান, নাদিরা আক্তার, রহিমা আফরোজ, রাইসা আখতার, সাদিয়া সুলতানা, সৌরভ চৌধুরী প্রমুখ।প্রদর্শনীতে শিল্পী সৌরভ চৌধুরী তাঁর কাঠখোদাইয়ের কাজে বাংলাদেশি লোকজশিল্পের কিছু কাল্পনিক চরিত্র ফুটিয়ে তুলেছেন। সামাউন হাসান তাঁর শিল্পকর্মে বাংলার আদিবাসী নারীর দৈনন্দিন জীবনের চিত্র উপস্থাপন করেন ‘ধীবর কন্যা’ শীর্ষক ছাপচিত্রের মাধ্যমে। এ ছাড়া রয়েছে আফরোজা জামিল ‘একলা পাখি, রহিমা আফরোজের ‘দ্য বার্ড’, শিল্পী লামিয়া আজাদের ‘জলকুমারী’সহ মোট ৪৫টি শিল্পকর্ম রয়েছে।গ্যালারি সূত্রে জানা গেছে, অধ্যাপক আমিরুল মোমেনিন চৌধুরী গত জুন মাসে এই কর্মশালা পরিচালনা করেছিলেন। তাঁর নিজের নয়টি শিল্পকর্মও রয়েছে এই প্রদর্শনীতে। প্রদর্শনী চলবে ৫ নভেম্বর পর্যন্ত।যখন নিঃশব্দ শব্দকে খাবেগুলশানে বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের নতুন সাংস্কৃতিক কেন্দ্র এবং আর্ট গ্যালারি বেঙ্গল আর্ট লাউঞ্জের আয়োজনে গতকাল বুধবার থেকে যশোরের মোজাই জিভান সাফোরি এবং নড়াইলের সমীর মজুমদারের ‘যখন নিঃশব্দ শব্দকে খাবে’ শীর্ষক শিল্পকর্ম প্রদর্শনী শুরু হয়েছে।বুধবার সন্ধ্যায় বেঙ্গল আর্ট লাউঞ্জে প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন জার্মানির রাষ্ট্রদূত অ্যালব্রেখট কোনজি। বিশেষ অতিথি ছিলেন বরেণ্য শিল্পী কাইয়ুম চৌধুরী। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন লেখক সলিমুল্লাহ খান।প্রদর্শনীতে শিল্পী সমীর মজুমদারের ২১টি, মোজাই জিভান সাফোরির ৩২টি এবং দুই শিল্পীর সম্মিলিত দুটি শিল্পকর্ম প্রদর্শিত হচ্ছে। প্রদর্শনী আগামী ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে।শিল্পী সমীর মজুমদার ১৯৭০ সালে নড়াইলে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৯৪ সালে খুলনা আর্ট কলেজ থেকে বিএফএ ডিগ্রি লাভ করেন। এ পর্যন্ত তাঁর একটি একক প্রদর্শনী আয়োজিত হয়েছে এবং বেশ কিছু দলবদ্ধ প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ করেছেন। বরেণ্য শিল্পী এস এম সুলতানের কাছে চিত্রকলার হাতেখড়ি নেওয়া সমীর প্রকৃতি ও গ্রামীণ জীবন নিয়ে ছবি আঁকতে ভালোবাসেন।শিল্পী মোজাই জিভান সাফোরি ১৯৯২ সালে খুলনা আর্ট কলেজ থেকে বিএফএ ডিগ্রি লাভ করেন।আজ বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কের উদ্বোধনগাজীপুরের শ্রীপুরে নবনির্মিত বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হবে আজ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর উদ্বোধন করবেন।সরকারের বন অধিদপ্তর তিন হাজার ৬৯০ একজ জায়গার ওপরে আন্তর্জাতিক মানের এই পার্ক নির্মাণ করেছে।‘বিশ্বকোষের’ বিদায়চলে গেলেন দুবারের বিশ্বকাপজয়ী ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার নিল্টন সান্তোস। দীর্ঘদিন ফুসফুসের সংক্রমণে ভুগে সর্বকালের অন্যতম সেরা লেফটব্যাক পরশু ৮৮ বছর বয়সে মারা গেছেন রিও ডি জেনিরোর এক হাসপাতালে। ব্রাজিলের ১৯৫৮ ও ১৯৬২ সালের বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য ছিলেন সান্তোস, রক্ষণ থেকে উঠে এসে আক্রমণ শাণাতেন। এভাবে ওভারল্যাপ করে ১৯৫৮ বিশ্বকাপে অস্ট্রিয়ার বিপক্ষে গোলও করেছিলেন। ১৯২৫ সালে রিওতে জন্ম নেওয়া সান্তোস ক্লাব ক্যারিয়ারের পুরোটাই কাটিয়েছেন ব্রাজিলের বোটাফোগোয়। অসামান্য ফুটবলজ্ঞানের কারণে ব্রাজিলিয়ানরা তাঁকে ফুটবলের বিশ্বকোষ নামে ডাকত। ওয়েবসাইট।মার্শাল পার্কক্রিকেট ইতিহাসের সেরা ফাস্ট বোলারদের সংক্ষিপ্ত তালিকাতেও ম্যালকম মার্শালের নাম থাকবে। প্রয়াত ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ফাস্ট বোলার জনপ্রিয় ছিলেন পুরো ক্রিকেট-বিশ্বেই। বারবাডোজের কৃতী সন্তানকে এবার সম্মান জানাল তাঁর স্কুল দ্য পার্কিনসন মেমোরিয়াল। পরশু সাবেক ছাত্রের নামে নামকরণ করা হয়েছে স্কুলটির। ওটা এখন থেকে ম্যালকম মার্শাল মেমোরিয়াল পার্ক। একই দিনে উন্মোচিত হয়েছে নতুন করে সংস্কার করা মার্শালের আবক্ষ মূর্তিটিও। ১৪ বছর আগে কোলন ক্যানসারে মারা যাওয়া মার্শাল ৮১ টেস্টে ২০.৯৪ গড়ে নিয়েছেন ৩৭৬ উইকেট। ওয়েবসাইট।দুর্ঘটনাবিশ্বকাপের ভেন্যুগুলো ব্রাজিল সময়মতো প্রস্তুত করতে পারবে কি না, সেটা নিয়ে সংশয় আছে। সেই সংশয় আরও বাড়িয়ে দিল পরশুর বড় ধরনের একটি দুর্ঘটনা। সাও পাওলোর করিন্থিয়ানস স্টেডিয়ামে ক্রেন পড়ে ধসে গেছে গ্যালারির একাংশের ছাদ। প্রাণ হারিয়েছেন দুই নির্মাণশ্রমিক, আহত হয়েছে আরও কয়েকজন। দুর্ঘটনা ঘটেছে দুপুরের খাবারের সময়, নইলে হতাহতের সংখ্যা বাড়তে পারত আরও। ৬৫ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতার এই মাঠেই আগামী ১২ জুন হওয়ার কথা বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। বিশ্বকাপের ১২টি ভেন্যুকে পুরোপুরি প্রস্তুত করতে ব্রাজিলকে আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছে ফিফা। এএফপি।শীর্ষ দশে ব্রাজিলবিশ্বকাপ বাছাই প্লে-অফে দুর্দান্ত খেলার পুরস্কার পেল পর্তুগাল। ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে ৯ ধাপ এগিয়ে পাঁচে চলে এসেছে রোনালদোর দল। ব্রাজিল ঢুকেছে শীর্ষ দশে, এক ধাপ এগিয়েছে ইতালিও (৭)। স্পেন, জার্মানি, আর্জেন্টিনা, কলম্বিয়া—শীর্ষ চার আছে আগের মতোই। তবে দুটি ম্যাচ হেরে পাঁচ থেকে ১১-তে নেমে গেছে বেলজিয়াম। কোনো ম্যাচ না খেলেই এগিয়েছে বাংলাদেশ, ১৬২ থেকে ৬ ধাপ এগিয়ে উঠে এসেছে ১৫৬-তে। ফিফা ডট কম।রাজশাহীর বিনোদপুর এলাকায় যৌথ বাহিনী আজ সোমবার ভোররাতে অভিযান চালিয়ে পরিত্যক্ত অবস্থায় ৬৫টি ককটেল ও পাঁচ কেজি গানপাউডার উদ্ধার করেছে। র‌্যাব, পুলিশ ও বিজিবির সদস্যরা ভোররাত তিনটার দিকে এ অভিযান পরিচালনা করে।রাজশাহীর র‌্যাব-৫ সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শিবির-অধ্যুষিত নগরের বিনোদপুরের মণ্ডলের মোড়ে অভিযান চালায় যৌথ বাহিনী। সেখানে পরিত্যক্ত অবস্থায় ৬৫টি ককটেল ও পাঁচ কেজি গানপাউডার পাওয়া যায়।রাজশাহী মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন জানান, যৌথ বাহিনী ভোররাতে নগরের ডাঁশমারী এলাকায় অপর একটি অভিযান চালিয়ে রাজশাহী মহানগর বিএনপির সহসভাপতি ও ২৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহজাহান আলীসহ চারজনকে আটক করে।এদিকে গতকাল রোববার রাত সাড়ে সাতটার দিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টেশন বাজার এলাকা থেকে চারটি ককটেল উদ্ধার করেছে পুলিশ। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টেশন বাজারের একটি দোকানের পাশ থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় ককটেলগুলো উদ্ধার করা হয়।মতিহার থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মনির জানান, নাশকতার জন্য ককটেলগুলো রাখা হয়েছিল। খবর পেয়ে তা উদ্ধার করে পুলিশ।
‘চোখ মনের আয়না’ অথচ এখন আর চোখে চোখ রেখে মনের কথা বলে না কেউ। সবাই এখন কম্পিউটার, ট্যাবলেট, মোবাইল ফোনেই চোখ রাখতে ব্যস্ত। মার্কিন প্রযুক্তি গবেষকেরা জানিয়েছেন, আমাদের জীবনে প্রযুক্তির প্রভাবে হারিয়ে যেতে বসেছে প্রিয়জনের সান্নিধ্য। হাফিংটন পোস্ট সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছেন।প্যাট ক্রিস্টেন যুক্তরাষ্ট্রে একটি প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী পরিচালক হিসেবে কাজ করছেন। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি নানা কাজে ব্যস্ত ছিলেন। হঠাত্ একদিন তিনি বুঝতে পারলেন যে, প্রযুক্তি তাঁকে তাঁর পরিবার ও সন্তানদের কাছ থেকে অনেক দূরে নিয়ে গেছে। অনেকদিন ধরে তিনি সন্তানদের চোখের দিকে তাকিয়েই দেখেননি!প্যাট ক্রিস্টেন এ প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকতে গিয়ে মানুষের চোখের দিকে তাকানোর বিষয়টি ভুলেই গিয়েছিলাম। আমার কাছে বিষয়টি অনেক কষ্টের মনে হয়েছিল।ক্রিস্টেনের মতোই অনেকের ক্ষেত্রেই বিষয়টি ঘটছে। স্ক্রিনের দিকে তাকাতে গিয়ে অনেকেই মানুষের চোখের দিকে তাকাতেই ভুলে যাচ্ছেন। অনেকেই এত দীর্ঘক্ষণ ধরে স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকেন যে, পরে কারও চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলার বিষয়টি তাঁর মনে থাকে না। আমরা যাকে সবচেয়ে কাছের মানুষ বলে করি, যাঁর সবচেয়ে বেশি যত্ন নিই অনেক ক্ষেত্রে তাঁর চোখের দিকে তাকাতেও ভুলে যায়।দিনের শুরু থেকে অফিসে কাজ করার সময় কম্পিউটরের মনিটর, মোবাইল ফোন বা ট্যাবলেটের মনিটর, টেলিভিশনসহ স্ক্রিনের দিকে তাকাতেই সময় পেরিয়ে যায়। গবেষণায় দেখা গেছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে সময় কাটানোর হার অতীতের তুলনায় অনেক বেড়ে গেছে। মার্কিনিরা দিনের মধ্যে গড়ে পাঁচ ঘণ্টারও বেশি সময় কম্পিউটার ও মোবাইল ডিভাইসের স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকেন আর গড়ে সাড়ে চার ঘণ্টা করে টেলিভিশন দেখেন। গড়ে প্রতিদিন মোবাইল ফোনের স্ক্রিনের দিকে ১৫০ বার করে তাকান মার্কিন নাগরিকরা। যুক্তরাজ্যের নাগরিকদের নিয়ে সাম্প্রতিক এক গবেষণার দেখা গেছে, এখানে সঙ্গীর চেয়ে মোবাইল ডিভাইসকেই বেশি সময় দেওয়া হচ্ছে। যুক্তরাজ্যের তরুণরা সঙ্গীর সঙ্গে যেখানে দিনের মধ্যে ৯৭ মিনিট কাটান সেখানে মোবাইল ফোনের পেছনে তারা ১১৯ মিনিট সময় দেন।ওয়ালস্ট্রিট জার্নাল প্রকাশিত ‘জাস্ট লুক মি ইন দ্য আই অলরেডি’ নামের একটি প্রবন্ধে বলা হয়েছে, মানুষের চোখে চোখ রাখার অভ্যাসটি আমাদের সম্পর্ক গড়ে ওঠার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমানে চোখে চোখ রাখার অভ্যাসটি আমরা স্ক্রিনে চোখ রাখতে গিয়ে হারিয়ে ফেলছি। টোয়ান্টিফাইড ইমপ্রেশনস নামের যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রতিষ্ঠানের গবেষকেরা বলেন, বয়ষ্কদের মধ্যে সাধারণ আলাপচারিতার সময় ৩০ থেকে ৬০ শতাংশ ক্ষেত্রে  চোখে চোখ রেখে কথা চলে। কিন্তু আবেগঘন কথা-বার্তার ক্ষেত্রে চোখে চোখ রাখার বিষয়টি ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ হতে হয়। অর্থাত্ চোখে চোখ না পড়লে সম্পর্ক গড়ে উঠতে পারেনা।প্রথম দেখায় প্রেম, ভালোলাগা। কিন্তু প্রথম দেখায় মানুষ কী দেখে? এর উত্তর হচ্ছে- চোখ। পুরুষরা এক ঝলকে নারীর চোখে খুঁজে ফেরে সব সৌন্দর্য। সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের পণ্য নির্মাতা মিউরিন আই ড্রপের করা এক জরিপে এ তথ্য ওঠে এসেছে।গবেষকেরা বলছেন, মাল্টিটাস্কিং, দূরে বসে কাজ করা, মোবাইল ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ, প্রভৃতি বিষয়গুলো যুক্ত হওয়ায় আমরা যোগাযোগের বিষয়টি সহজ করে তুলেছি এবং সম্পর্ক স্বাভাবিক করে তুলেছি। তবে, মানুষের সম্পর্কের ভিত শক্ত করতে চোখে চোখে থাকা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ।টোয়ান্টিফাইড ইমপ্রেশনসের প্রধান নির্বাহী নোয়া জানডানের পরামর্শ হচ্ছে, মানুষের জীবনে আবেগ গুরুত্বপূর্ণ। চোখে চোখ রাখার মাধ্যমে জন্ম নেয় আবেগ। আবেগের বার্তাবাহী চোখের তৃষ্ণা মেটাতে কিছুটা বাড়তি সময় প্রিয়জনের মুখোমুখি হওয়া এবং কথাবার্তা বলা মানুষের জন্য নানা সুফল বয়ে আনতে পারে।মিয়ামি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা চোখে চোখ রাখার গুরুত্ব সম্পর্কে বলেছেন, মানুষ যখন কারও দিকে তাকায় তখন ৪৩ শতাংশ মনোযোগ জুড়ে থাকে চোখ। মানুষের মধ্যে সম্পর্ক তৈরির ক্ষেত্রে সবচেয়ে মোক্ষম ভূমিকা চোখেরই।এ জেনারেল থিওরি অব লাভের লেখক মনোবিদ থমাস লুই, ফারি আমিনি ও রিচার্ড লেননের মতে, একটি নির্দিষ্ট দুরুত্ব থেকে হলেও চোখে চোখ পড়াটা সম্পর্ক গড়ে ওঠার জন্য কার্যকর।  যখন দুজন মানুষের এক অপরের প্রতি নজর আটকায় তখন এ দুটি মানুষের স্নায়ুতন্ত্র কাজ শুরু করে দেয় এবং দুজনের চোখের ভাষার যোগাযোগে আরও ঘনিষ্ঠতা বাড়ে আর এ কারণেই চোখে চোখ পড়ার বিষয়টি কমে যাওয়াটা সংশয়ের। এতে মানুষের মধ্যে সম্পর্কের ব্যবধান বেড়ে যাচ্ছে। মা-বাবার কাছ থেকে সন্তানরা দূরে সরে যাচ্ছে।বর্তমানে অনেক অভিভাবক অতিরিক্ত স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকার বিষয়টি নিয়ে সচেতন হয়েছেন।গ্র্যামি জয়ী মার্কিন কমেডিয়ান লুইস সি.কে এ প্রসঙ্গে বলেন, আমি আমার সন্তানদের স্মার্টফোন ব্যবহার করতে নিষেধ করি। আমার কাছে মনে হয়, শিশুগের জন্য এগুলো বিষাক্ত। কারণ, তারা যখন কথা বলে তখন মানুষের দিকে তাকায় না এতে করে মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে ওঠে না।ব্লগার র্যাচেল মার্টিন তাঁর এক ব্লগ পোস্টে লিখেছেন, চোখে চোখ রেখে কথা বললে কথাটির গুরুত্ব বোঝা সহজ হয়। আমি আমার শিশুদের বলি, তোমাদের মা যখন হেসে হেসে তোমাদের চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলেন সে বিষয়টি স্মরণ রাখো। আর আমিও ল্যাপটপ, ফোন, দরকারি কাজ বন্ধ রেখে সন্তানদের সময় দিচ্ছি।বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীসময় নাট্যদলের নাটক শেষ সংলাপ। মিশরের নাট্যকার তাওফিক-আল-হাকিমের ‘সুলতানুজ জান্নাম’ থেকে অনুবাদ করেছেন সৈয়দ জামিল আহমেদ ও ম সাইফুল আলম চৌধুরী, নির্দেশনা দিয়েছেন আকতারুজ্জামান। পরীক্ষণ থিয়েটার হলে, সন্ধ্যা সাতটায়।ছায়ানট সংস্কৃতি-ভবনগীতমালিকার নিয়মিত শ্রোতার আসর। আজ রবীন্দ্রসংগীত। রমেশচন্দ্র দত্ত স্মৃতি মিলনকেন্দ্রে,সন্ধ্যা সাড়ে চয়টায়।গ্যালারি কসমস, নিউ ডিওএইচএস মহাখালী১৭ জন শিল্পীর উডকাট ও স্ত্রিন প্রিন্টের কাজ নিয়ে যৌথ প্রদর্শনী ‘রিদম অব জায়লোগ্রাফি’। চলবে ৫ নভেম্বর পর্যন্ত।বেঙ্গল আর্ট লাউঞ্জ, গুলশান এভিনিউযশোরের মোজাই জিভান সাফোরি ও নড়াইলের সমীর মজুমদারের শিল্পকর্ম প্রদর্শনী ‘যখন নিঃশব্দ শব্দকে খাবে’। চলবে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত।আঁলিয়স ফ্রঁসেজ, ধানমন্ডিশাবেকুন নাহারের একক চিত্র প্রদর্শনী ‘নিঃশব্দ’। চলবে ৭ নভেম্বর পর্যন্ত।বলাকা সিনেওয়ার্ল্ডপূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেমকাহিনি ও নিঃস্বার্থ ভালোবাসা। সাড়ে ১২টা, সাড়ে তিনটা, সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা ও রাত নয়টায়।স্টার সিনেপ্লেক্স পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেমকাহিনি: বেলা ১১টা, বিকেল চারটা ও সন্ধ্যা সাতটায়। নিঃস্বার্থ ভালোবাসা: সকাল ১০টা ৫০ ও বিকেল সোয়া চারটায়। উধাও: দুপুর দুইটায়। টাইটানিক থ্রিডি: বেলা সোয়া ১১টা, তিনটা ও সন্ধ্যা ছয়টা ৪০ মিনিটে। বুলেট টু দ্য হেড: বেলা পৌনে তিনটা, বিকেল পৌনে পাঁচটা ও সন্ধ্যা পৌনে সাতটায়। মনস্টার ইউনিভার্সিটি থ্রিডি: সকাল ১০টা ৫০ ও দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটে। উলভেরাইন থ্রিডি: দুপুর পৌনে দুইটা ও সন্ধ্যা সোয়া সাতটায়।এই গাজী ট্যাংকের বিপক্ষে, মিরপুরেই খেলা ছিল সেদিন। ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতিতে প্রাইম দোলেশ্বরের ৩ রানে জেতা সে ম্যাচ দারুণ উত্তেজনা ছড়িয়েছিল। কিন্তু খেলা শেষে ড্রেসিংরুমের সামনে উৎসবের মধ্যেই কোচ মিজানুর রহমান গজগজ করছিলেন, ‘আমরা জিতলেই তো সবাই বলে এটা নাকি অঘটন...।’ তাঁকে সান্ত্বনা দিচ্ছিলেন দোলেশ্বর অধিনায়ক ফরহাদ রেজা, ‘বলুক। কে কী বলল তাতে কিছু যায়-আসে না। আমাদের খেলা আমরা খেলব।’মোহামেডানের কাছে নিজেদের প্রথম ম্যাচে হারলেও গাজীর বিপক্ষে ওই জয় ছিল প্রাইম দোলেশ্বরের টানা চতুর্থ জয়। তত দিনে দোলেশ্বরের জয়কে আর অঘটন বলার উপায় ছিল না তাই। অবরোধের কারণে দুবার তারিখ বদলে গাজী-দোলেশ্বর অলিখিত ফাইনালটা মাঠে গড়াচ্ছে আজ। এর আগে ১৪ ম্যাচে ১০টিতেই জয়, হার চারটিতে—দোলেশ্বরকে ‘অঘটনঘটনপটীয়সী’ বলার চেয়ে ‘ফেবারিট’ বলাটাই তো ভালো!সমান ম্যাচে সমান পয়েন্ট তাদের আজকের প্রতিপক্ষ গাজী ট্যাংক ক্রিকেটার্সেরও। সে জন্যই দুই দলের শেষ রাউন্ডের ম্যাচটা পাচ্ছে ‘ফাইনালের’ মর্যাদা। চূড়ান্ত সে লড়াইয়ে নামার আগে গাজী অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ দোলেশ্বরকে সমীহই করছেন, ‘প্রাইম দোলেশ্বরকে ছোট দল বলব না। তারা ভালো খেলছে। টিম স্পিরিট ভালো ছিল বলেই দলটা ভালো খেলতে পেরেছে। ওদের টিম কম্বিনেশনও ভালো।’প্রতিপক্ষের শক্তির জায়গাটা ভালোই ধরতে পেরেছেন মাহমুদউল্লাহ। অধিনায়ক ফরহাদ রেজার অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের সঙ্গে কখনো সোহাগ গাজীর অফ স্পিন, কখনো মুমিনুলের ব্যাটিং কিংবা ইংলিশ ব্যাটসম্যান ডেভিড মালানের নির্ভরতা। এসব কিছুর যোগফলেই প্রিমিয়ার লিগে নিজেদের তৃতীয় মৌসুমে এসে প্রথম সুপার লিগে খেলছে দোলেশ্বর। অধিনায়ক ফরহাদ রেজাও বলছিলেন, ‘আমাদের দলে হয়তো নামী খেলোয়াড় নেই, কিন্তু সবাই ভালো। ঘরোয়া ক্রিকেটের নিয়মিত পারফরমার সবাই।’সর্বশেষ জাতীয় দলে খেলাদের মধ্যে মাহমুদউল্লাহ আর রুবেল হোসেনই আছেন শুধু। তার পরও গাজী ট্যাংক নামে ভারী ইমরুল কায়েস, রকিবুল হাসান, আফতাব আহমেদদের উপস্থিতির কারণে। সবাই রানের মধ্যেও আছেন। সঙ্গে রায়ান টেন ডেসকাট, এউইন মরগানের মতো বিদেশিদের ধরলে কাগজে-কলমে অনেকটাই এগিয়ে থাকে গাজী ট্যাংক। প্রতিপক্ষকে প্রাপ্য সম্মান দিয়েও ‘ফাইনালের’ আগে মাহমুদউল্লাহ আশাবাদী হতে পারছেন সে কারণেই, ‘মরগান ও টেন ডেসকাট আসার পর আমাদের অবস্থা আরও ভালো হয়েছে। স্থানীয় ক্রিকেটাররাও ভালো খেলছে। বিশেষ করে রকিবুল, ইমরুল...কয়েকটা ম্যাচ উইনিং ইনিংস খেলেছে তারা। বোলারদের মধ্যে রুবেল, শহীদ, নাঈম জুনিয়র ভালো করছে। ব্যক্তিগতভাবে প্রত্যেকে প্রত্যেকের জায়গা থেকে তার সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করছে।’একের পর এক ‘দৈত্য’ বধে এবারের লিগে এর মধ্যেই প্রত্যাশাতীত অর্জন দোলেশ্বরের। জিতলেই চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ম্যাচের আগে তাই কোনো চাপ নিচ্ছেন না ফরহাদ, ‘আমরা সবাই খুবই আত্মবিশ্বাসী। প্রাইম দোলেশ্বর এই প্রথম সুপার লিগে এসেছে। ক্লাব থেকেও তাই আমাদের ওপর কোনো চাপ নেই।’ সুপার লিগেই প্রথম, আজ জিতলে যে দোলেশ্বর প্রথমবারের মতো লিগ চ্যাম্পিয়নও হবে, সেটা বলাই বাহুল্য। একই ব্যাপার গাজী ট্যাংক ক্রিকেটার্সের ক্ষেত্রেও। আজ জিতলে শিরোপার স্বাদ তারাও পাবে প্রথম বারের মতো। চাপ-টাপ নিয়ে না ভেবে মাহমুদউল্লাহর চোখে আজকের দিনটা তাই বিশেষ একটা দিন। এমন দিনে ভালো কিছুরই প্রত্যাশা তাঁর, ‘এটা বিশেষ একটা দিন। আমরা খুব ভালো ক্রিকেট খেলছি। স্নায়ুচাপে না ভুগে যদি সেরা খেলাটা খেলতে পারি, ছোট ছোট ভুলগুলো যদি না করি, আশা করি ভালো ফলাফল নিয়ে আসতে পারব।’‘ফাইনালে’ জিতলে চ্যাম্পিয়ন, কিন্তু হারলে রানার্সআপ নয়। এবারের লিগে রানার্সআপ হবে কারা, সেটি নির্ভর করছে আজকের অন্য দুটি ম্যাচের ওপরও। ফতুল্লায় মোহামেডান খেলবে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে। বিকেএসপিতে মুখোমুখি হবে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব ও কলাবাগান ক্রিকেট একাডেমি। মোহামেডান-শেখ জামাল দুই দলেরই ১৪ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট করে থাকায় শিরোপার লড়াইয়ের মতো রানার্সআপ হওয়ার ‘লড়াই’টাও খারাপ জমবে না।বছর শেষে এখন অনেকটা ছুটির আমেজেই সময় পার করছেন বলিউডের তারকারা। হাতে থাকা কাজ গুছিয়ে ২০১৪ সালকে বরণ করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তাঁরা। পরিবারের সদস্য কিংবা কাছের মানুষদের সঙ্গে ঘটা করে নববর্ষ উদযাপনের নানা পরিকল্পনায় ব্যস্ত রয়েছেন দীপিকা, ঐশ্বরিয়া, শাহরুখ, সঞ্জয়, আমির, মাধুরী, সোনমসহ বলিউডের প্রায় সব তারকাই।এরই মধ্যে বড়দিন উদযাপনের পাশাপাশি বর্ষবরণ উত্সব উপলক্ষে ভারত ছেড়েছেন বলিউডের একাধিক তারকা। বাকিরাও প্রস্তুতি নিচ্ছেন দেশের বাইরে গিয়ে নববর্ষ উদযাপনের। কেউ কেউ আবার নিজের দেশেই কাছের মানুষদের নিয়ে ধুমধাম করে নতুন বছরকে বরণ করে নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। সম্প্রতি এক খবরে এমনটিই জানিয়েছে মিড-ডে ডটকম।কাজ থেকে ছুটি নিয়ে ২৪ ডিসেম্বর কাছের মানুষদের সঙ্গে মালদ্বীপ গিয়েছেন দীপিকা পাড়ুকোন। সেখানেই বড়দিন উদযাপন করেছেন তিনি। ৩১ ডিসেম্বরের আগেই মালদ্বীপ থেকে দেশে ফিরবেন বর্তমান সময়ের অন্যতম সফল এ তারকা অভিনেত্রী। মুম্বাইয়ে বন্ধুবান্ধব ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নববর্ষ উদযাপনে মেতে উঠবেন তিনি।এদিকে ২০১৪ সালকে বরণ করে নিতে পরিবারের সঙ্গে থাইল্যান্ডের ফুকেটে উড়াল দিচ্ছেন ‘বলিউড বাদশাহ’ শাহরুখ খান। দীর্ঘদিন পর স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে ছুটি কাটাতে যাচ্ছেন শাহরুখ।প্রতিবছর ডিসেম্বরের শেষ দিকে ব্যাগ গুছিয়ে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে মহারাষ্ট্রের পাহাড়ঘেরা পঞ্চগনি শহরে চলে যান ‘মিস্টার পারফেকশনিস্ট’ তারকা আমির খান। সেখানে তাঁর নিজের একটি বাড়ি আছে। মূলত অবকাশযাপনের জন্যই বাড়িটি বানিয়েছেন তিনি। অন্যান্যবারের মতো এবারও সেখানেই নববর্ষ উদযাপনে মেতে উঠবেন আমির। এই আনন্দে তাঁর সঙ্গী হবেন স্ত্রী কিরণ রাও, ছেলে আজাদসহ একদল ঘনিষ্ঠ বন্ধু।নববর্ষ উদযাপনের জন্য স্বামী শ্রীরাম নেনে আর দুই সন্তান রায়ান ও অরিনকে নিয়ে সিঙ্গাপুর যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে ‘আজা নাচলে’ তারকা মাধুরী দীক্ষিতের। বলিউডের অন্যতম সফল তারকা দম্পতি ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন ও অভিষেক বচ্চন। একমাত্র মেয়ে আরাধ্যকে নিয়ে দুবাইয়ে নতুন বছরকে বরণ করে নেবেন তাঁরা।এক মাসের জন্য প্যারোলে মুক্তি পাওয়ার পর এখন মুম্বাইয়ে নিজ বাড়িতে অবস্থান করছেন অস্ত্র মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত বলিউডের অভিনেতা সঞ্জয় দত্ত। তাঁর স্ত্রী মান্যতা দত্তের শারীরিক অবস্থা ভালো নয়। তাঁর যকৃতে বড় আকারের একটি টিউমার ধরা পড়েছে। মান্যতা আর যমজ দুই সন্তান শরণ ও ইকরাকে নিয়ে ঘরোয়াভাবেই নতুন বছরকে বরণ করে নেবেন সঞ্জয়।‘খুবসুরত’ ছবির রিমেকে অভিনয় করছেন অনিল কাপুরতনয়া সোনম কাপুর। এ মুহূর্তে রাজস্থানে ছবিটির শুটিং নিয়ে ব্যস্ত আছেন তিনি। তবে নববর্ষ উদযাপনের আগেই রাজস্থান থেকে মুম্বাই ফিরবেন তিনি। মুম্বাই ফিরলেও নতুন বছরকে বরণ করে নিতে তিনি সেখান থেকে চলে যাবেন গোয়ায়। বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে হই-হুল্লোড় করে বর্ষবরণ উত্সবে মেতে উঠবেন তিনি। ‘খিলাড়ি’ তারকা অক্ষয় কুমারও গোয়ায় নববর্ষ উদযাপনের পরিকল্পনা করেছেন। সেখানে তাঁর সঙ্গে থাকবেন স্ত্রী টুইংকেল খান্না এবং দুই সন্তান আরাভ ও নিতারা।দুবাইয়ে বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে নতুন বছরকে বরণ করে নেবেন বলিউডের প্রভাবশালী চলচ্চিত্র নির্মাতা ও প্রযোজক করণ জোহর। এদিকে বন্ধুবান্ধবদের নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে উড়াল দিয়েছেন ‘আর...রাজকুমার’ তারকা শহিদ কাপুর। সেখানেই ঘটা করে ২০১৪ সালকে বরণ করে নেবেন তিনি।
অসুস্থতার জন্য ১০ দিনের ছুটিতে পুনের ইয়েরাওয়াড়া কারাগার থেকে বাড়ি যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন অস্ত্র মামলায় দণ্ড পাওয়া বলিউডের অভিনেতা সঞ্জয় দত্ত। সম্প্রতি বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছে ইয়েরাওয়াড়া কারা কর্তৃপক্ষ।পায়ে সমস্যা হওয়ায় সঞ্জয় চিকিত্সার জন্য ছুটির আবেদন করলে ১০ দিনের ছুটি মঞ্জুর করে ইয়েরাওয়াড়া কারা কর্তৃপক্ষ। এক বন্ধুর ব্যক্তিগত বিমানে চেপে পুনে থেকে মুম্বাই যাবেন সঞ্জয়। বাড়ি ফেরার পরপরই দ্রুত প্রয়োজনীয় চিকিত্সা নেওয়া শুরু করবেন ৫৪ বছর বয়সী এ তারকা অভিনেতা। সম্প্রতি এক খবরে এ তথ্য জানিয়েছে ‘টাইমস অব ইন্ডিয়া’।সঞ্জয় অল্প সময়ের জন্য বাড়ি ফেরার সুযোগ পেলেও দারুণ খুশি তাঁর বন্ধু ও সহকর্মীরা। তাঁরা নিশ্চিত করতে চান, এই সময়টায় নিরুপদ্রবে সঞ্জয় যেন তাঁর স্ত্রী মান্যতা এবং যমজ সন্তান শরণ ও ইকরার সঙ্গে পারিবারিক পরিবেশে সুন্দর কিছু মুহূর্ত কাটাতে পারেন। মুম্বাইয়ে সঞ্জয়ের অ্যাপার্টমেন্ট ভবনের এক তলা নিচেই থাকেন তাঁর দুই বোন প্রিয়া ও নম্রতা। তাঁরা যাঁর যাঁর পরিবারের সঙ্গে সেখানে বসবাস করেন। সব মিলিয়ে পরিবারের সবার সঙ্গেই ১০ দিন সময় কাটাতে পারবেন সঞ্জয়।প্রসঙ্গত, ১৯৯৩ সালের মার্চ মাসে মুম্বাইয়ে ধারাবাহিকভাবে বেশ কয়েকটি স্থানে ১২টি শক্তিশালী বোমা বিস্ফোরিত হয়েছিল। ওই ভয়াবহ বিস্ফোরণে ২৫৭ জন নিহত হয়। আর আহত হয় ৭০০ জনের বেশি। ভয়াবহ ওই সহিংসতার এক মাস পর বিস্ফোরণ মামলার সঙ্গে সম্পৃক্ততা ও বাড়িতে অবৈধ অস্ত্র রাখার অভিযোগে সঞ্জয়কে গ্রেপ্তার করে মুম্বাই পুলিশ। এ ঘটনায় সম্পৃক্ত থাকার সন্দেহে সঞ্জয় দত্তের বাড়ি তল্লাশি করে পুলিশ অবৈধ অস্ত্র খুঁজে পায়।পরবর্তী সময়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকার অভিযোগ থেকে নিষ্কৃতি পেলেও বাড়িতে অবৈধ অস্ত্র রাখার দায়ে ২০ বছর আগের মামলায় গত ২১ মার্চ সঞ্জয়কে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন ভারতের সর্বোচ্চ আদালত। সঞ্জয় এ মামলায় আগে দেড় বছর সাজা খেটেছেন। এই হিসাবে ২০১৬ সালের নভেম্বর মাস পর্যন্ত তাঁকে ইয়েরাওয়াড়া কারাগারে বন্দী থাকতে হবে।এটিএন বাংলাবেলা ৩-০৫ তুমি আমার স্বামী (রিয়াজ, শাবনূর, মিশা সওদাগর)।চ্যানেল আইবেলা ৩-৩০ কোটি টাকার কাবিন।দেশ টিভিসকাল ৮-০০ জিনের বাদশা (বাপ্পারাজ, এটিএম শামসুজ্জামান)।আরটিভিদুপুর ১২-৩০ অন্তরে অন্তরে (সালমান শাহ, শাবনূর)।বৈশাখী টিভিসকাল ১০-১৫ তেজি সন্তান।মাছরাঙা টেলিভিশনসকাল ৯-০২ টোকাই রংবাজ (মান্না, শাহনাজ)।চ্যানেল নাইনসকাল ১০-৩০ তুমি আছো হূদয়ে।জি টিভি (গাজী টিভি)সকাল ১০-৩৫ প্রিয়জন (সালমান শাহ, শাবনাজ, শিল্পী)।ডিডি বাংলাবেলা ১১-৩৫ তোমাকে চাই (প্রসেনজিৎ, ঋতুপর্ণা, শুভেন্দু)।ইটিভি বাংলাদুপুর ১-৩০ আরাধনা (রাজেশ খান্না, শর্মিলা ঠাকুর, সুজিত কুমার)।সনি আটসকাল ১০-৩০ আপন শত্রু (ইন্দ্রজিৎ, অরুণিমা)। বিকেল ৪-৩০ বলিদান (প্রশান্ত নন্দ, মমতা শঙ্কর)।জি বাংলা সিনেমাসকাল ৮-৩০ পিতা পুত্র (তনুজা, জহর রায়, অনুপ কুমার, তরুণ কুমার)। ১১-৪৫ জোর (জিৎ, বর্ষা)। ৩-০০ কুমারী মা (চিরঞ্জিত, অঞ্জু ঘোষ, শতাব্দী রায়)। ৬-১৫ পুনরুত্থান (ভিক্টর ব্যানার্জি, ঋতুপর্ণা, সব্যসাচী চক্রবর্তী)। ৯-৩০ রাজু আঙ্কেল (প্রসেনজিৎ, অনামিকা, রঞ্জিত মল্লিক)।জলসা মুভিজসকাল ৯-৩০ আজব গাঁয়ের আজব কথা (সৌমিত্র, দেবশ্রী রায়, মনোজ মিত্র)। ১২-০৫ দাদা ঠাকুর (ভিক্টর ব্যানার্জি, ফেরদৌস, রঞ্জিত মল্লিক)। ৩-২৫ চলো পাল্টাই (প্রসেনজিৎ, মৌলি, দেবদান)। ৬-২০ প্রেম...বাই চান্স (আবির, কোয়েল মল্লিক)। ৯-৩০ মিনিস্টার ফাটাকেষ্ট (মিঠুন, সৌমিত্র, দীপংকর দে)।জি সিনেমাসকাল ৯-১২ এক থা রাজা (সুনিল শেঠি, সাইফ আলী খান, নীলম)। ১২-৩৭ শির্দি কে সাইবাবা (সুধীর দালভি, হেমা মালিনী)। ৩-৩৮ নদীয়া কে পার (শচীন, সাধনা সিং)। ৬-৫০ আফলাতুন (অক্ষয় কুমার, ঊর্মিলা)। ৯-৩০ গড তুসি গ্রেট হো (অমিতাভ বচ্চন, সালমান খান, প্রিয়াংকা চোপড়া)।সেট ম্যাক্সসকাল ৮-০০ সৈনিক (অক্ষয় কুমার, অশ্বিনী ভাওয়ে)। ১১-০০ নাম্বার ওয়ান মিস্টার পারফেক্ট (প্রভাষ, কাজল)। ২-৩০ অগ্নিস্বাক্ষী (জ্যাকিশ্রফ, নানা পাটেকর, মনীষা কৈরালা)। ৫-৩৩ আপনে (ধর্মেন্দ্র, সানি দেওল, ববি দেওল, শিল্পা শেঠি)। ৯-৩০ তেরে নাল লাভ হো গ্যায়া (রিতেশ, জেনেলিয়া)।ফক্স মুভিজসকাল ৯-২৫ স্ট্রেইট অ্যা’স (লুক উইলসন, রায়ান ফিলিপস)। ১০-৫৫ অ্যাঙ্গার ম্যানেজমেন্ট (অ্যাডাম স্যান্ডলার, জ্যাক নিকলসন)। ১২-৪০ মিস্টার বিন’স হলিডে (রোয়ান অ্যাটকিনসন)। ২-১৫ প্যালাডিন। ৩-৫৫ দ্য ক্রাউন অ্যান্ড দ্য ড্রাগন। ৫-২৫ বেইট। ৭-০০ হ্যালোস্ক্রিম। ১০-৩৫ পিরানহা থ্রিডিডি। ১১-৫৫ সিনিস্টার (এথেন হক)।এইচবিওসকাল ৮-৪১ টুইনস (আরনল্ড শোয়ার্জনেগার, কেলি প্রেস্টন)। ১০-৪৮ অ্যালিস ইন ওয়ান্ডারল্যান্ড (জনি ডেপ)। ১-০০ অ্যাস্ট্রো বয় (নিকোলাস কেজ, শার্লিজ থেরন, ক্রিস্টেন বেল)। ২-৫৩ দ্য ডিটেক্টর (বেন কিংসলে)। ৪-২৩ হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য ডেথলি হ্যালোজ (ড্যানিয়েল র‌্যাডক্লিফ, এমা ওয়াটসন, রুপার্ট গ্রিন্ট)। ৭-০১ স্টারশিপ ট্রুপারস (ক্যাসপার ভ্যান ডিয়েন)। ৯-৩০ লুপার (ব্রুস উইলিস)। ১১-৫৪ হাই লেন।বড়ই উৎকণ্ঠার মধ্য দিয়ে কেটেছে গত তিনটি দিন। অবরোধে মন্থর জীবনযাত্রা। হানাহানিতে ক্রুদ্ধ পরিবেশ। সেই প্রায় দমবন্ধ পরিস্থিতিতে যেন একঝলক মুক্ত হাওয়া এনে দিয়েছিল বেঙ্গল উচ্চাঙ্গসংগীত উৎসব। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অবরোধের বিরূপ পরিস্থিতি সত্ত্বেও অনুষ্ঠান শুরুর আগেই সংগীতানুরাগী শ্রোতারা আসতে থাকেন আর্মি স্টেডিয়ামে। উপমহাদেশের প্রখ্যাত শিল্পীদের গান শোনার আনন্দের পাশাপাশি মনের ওপর চেপে বসা উদ্বেগের গুরুভারও লাঘবের সুযোগ করেছিল এই আয়োজন।বেঙ্গল ফাউন্ডেশন উচ্চাঙ্গসংগীতের এই উৎসব আয়োজন করেছে কলকাতার সংগীত রিসার্চ একাডেমির সঙ্গে। এর সার্বিক সহযোগিতায় রয়েছে প্রথম আলো। সহযোগিতা দিচ্ছে দ্য ডেইলি স্টার, এবিসি রেডিও এবং সম্প্রচার সহযোগিতায় রয়েছে মাছরাঙা টেলিভিশন। এবারের উৎসবটি উৎসর্গ করা হয়েছে জ্ঞানতাপস অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাককে।গতকাল সন্ধ্যায় দ্বিতীয়বারের মতো চার দিনের এই উৎসব শুরু হয় চর্যাপদ থেকে আধুনিক কাল পর্যন্ত বাংলা গানের ক্রমবিবর্তনের ওপর একটি নান্দনিক কোরিওগ্রাফি পরিবেশনের মধ্য দিয়ে। অভিনয় ও নৃত্যের মধ্য দিয়ে শিল্পীরা সংগীতের বিবর্তনের ধারাটি তুলে ধরেন। এটি প্রযোজনা করেছে বেঙ্গল ফাউন্ডেশন। গতবারের মতোই পুরো আর্মি স্টেডিয়াম সাজানো হয়েছে উৎসবের বর্ণাঢ্য সজ্জায়। মাঠের মাঝখানে বিশাল মঞ্চ। পশ্চিমে এক সারি স্টল। সেখানে রয়েছে প্রথমা প্রকাশন, ডেইলি স্টার, বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের প্রকাশনা। দক্ষিণ পাশে প্রখ্যাত সংগীতসাধকদের ছবি এবং তাঁদের পরিচিতিসংবলিত তথ্যের প্রদর্শনীর ব্যবস্থা। পূর্ব দিকে খাবারের স্টলের সারি, পাশেই ছাউনির তলায় টেবিল-চেয়ার পেতে খাবারের ব্যবস্থা। উৎসব চলবে সারা রাত। চিত্তের ক্ষুধা মেটানোর পাশাপাশি তাই পেটের ক্ষুধা মেটানোর আয়োজনটিও রাখা হয়েছে চমৎকার ব্যবস্থাপনায়। আবার খেতে গিয়ে যেন অনুষ্ঠান থেকে বঞ্চিত না হতে হয়, সে জন্য খাবারের জায়গাতেও রাখা হয়েছে বিশালাকার ডিজিটাল পর্দা।গতবারের মতো এবারও প্রথম দিন থেকেই জমে উঠেছে উৎসব। সন্ধ্যার আঁধার যেমন ঘনিয়ে আসছিল ক্রমেই, তেমনি একে একে দর্শকের অংশগ্রহণে মঞ্চের সামনের আসনও ভরে উঠছিল। অনলাইনে আগাম নাম নিবন্ধনের মাধ্যমে দর্শকেরা এই উৎসবে অংশ নিচ্ছেন। কে কোন পথ দিয়ে প্রবেশ করবেন, তা নিবন্ধনপত্রেই উল্লেখ ছিল বলে কারও কোনো অসুবিধা হয়নি। সার্বিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে সন্তুষ্টই ছিলেন দর্শকেরা।চর্যাপদের থেকে বাংলা গানের বিবর্তনমূলক কোরিওগ্রাফির পর ছিল বেনারস ঘরানার শিল্পী বিশাল কৃষ্ণের কত্থক নৃত্য। তাঁর সঙ্গে কণ্ঠসংগীতে ছিলেন দেবাশীষ সরকার, তবলায় কুশল কৃষ্ণ, সেতারে জয়ন্ত চক্রবর্তী ও বোলে মোহন কৃষ্ণ। বিশাল কৃষ্ণ শুরু করেছিলেন দেবী-বন্দনা দিয়ে। এরপর তিনি বেশ কয়েকটি তেহাই, তারানা, ময়ূর নৃত্য, ঘোড়ার চলন এবং থালার ওপর একটি বিশেষ নৃত্য দিয়ে শেষ করেন।নৃত্যের পর ছিল আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পালা। প্রধান অতিথি ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারপারসন স্যার ফজলে হাসান আবেদ উৎসবের উদ্বোধন করে বলেন, ‘আমি আশা করি, এই উৎসব আগামী বছরগুলোতে নিয়মিতভাবে চলবে। উপমহাদেশের উচ্চাঙ্গসংগীতের ক্ষেত্রে এই উৎসব নবজাগরণ সৃষ্টি করবে। উচ্চাঙ্গসংগীত আমাদের ভাবলোক শাণিত করবে। নতুন প্রজন্মের মধ্য থেকে প্রতিভাবান শিল্পী সৃষ্টি হবে।’বিশেষ অতিথি বাংলাদেশে ভারতের হাইকমিশনার পঙ্কজ সরন বলেন, এ ধরনের উৎসবের মধ্য দিয়ে সাংস্কৃতিক আদান-প্রদানে মানুষে-মানুষে সম্পর্ক নিবিড় হয়ে ওঠে। দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের উন্নয়নের ক্ষেত্রে এ ধরনের উৎসব গুরুত্বপূর্ণ।সংগীত রিসার্চ একাডেমির নির্বাহী পরিচালক রবি মাথুর বলেন, গত বছর কলকাতায় সংগীত রিসার্চ একাডেমিতে বাংলাদেশের শিল্পীদের অংশগ্রহণে প্রথমবারের মতো নয় দিনের বাংলা গানের উৎসব হয়েছে। এই আদান-প্রদানের মধ্য দিয়ে সংগীত চর্চার বিকাশ এবং উভয় দেশের জনগণের মধ্যে সম্পর্ক আরও সৌহার্দ্যপূর্ণ হবে।স্কয়ার গ্রুপের পরিচালক ও মাছরাঙা টেলিভিশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অঞ্জন চৌধুরী বলেন, এই উৎসবের মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হয়েছে, এ দেশে উচ্চাঙ্গসংগীতের শ্রোতা বিপুল।বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের সভাপতি আবুল খায়ের শ্রোতাদের স্বাগত জানান এবং অনুষ্ঠানের সহযোগিতা দেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর মঞ্চে আসেন বিদুষী গিরিজা দেবী। তিনি যোগকোষ রাগে খেয়াল দিয়ে পরিবেশনা শুরু করেন। এরপর পরিবেশন করেন ঠুংরি ‘আও পিয়া মেরি ঘর...’।গত রাতের পরিবেশনার মধ্যে আরও ছিল গৌতম সরকার, ইফতেখার আলম প্রধান, স্বরূপ হোসেন ও জাকির হোসেনের তবলা বাদন, অয়ন সেনগুপ্তের সেতার, বিদুষী কৌশিকী চক্রবর্তীর কণ্ঠসংগীত, তেজেন মজুমদার সরোদ, পণ্ডিত রাজন ও পণ্ডিত সাজন মিশ্রের কণ্ঠসংগীত। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন অপি করিম।গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন: উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বেঙ্গল পাবলিকেশন থেকে প্রকাশিত জ্ঞানতাপস অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাক স্মারকগ্রন্থ-এর মোড়ক উন্মোচন করা হয়। অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাকের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে প্রকাশিত এই স্মারকগ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন অধ্যাপক আনিসুজ্জামান, আবদুর রাজ্জাকের ভ্রাতৃবধূ মমতাজ খালেক। অনুষ্ঠানে আবদুর রাজ্জাকের জীবন ও কাজ নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করেন আনিসুজ্জামান।আজকের অনুষ্ঠান: আজ শুক্রবার অনুষ্ঠান শুরু হবে বিকেল সাড়ে পাঁচটায়। এদিনের অনুষ্ঠান উৎসর্গ করা হয়েছে পণ্ডিত বারীন মজুমদারকে। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করবেন অধ্যাপক আনিসুজ্জামান। বিদুষী আলারমেল ভাল্লির ভরতনাট্যম নৃত্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হবে। পরে সেতার বাদন করবেন সাকেত সাহু। কর্ণাটকি সংগীত পরিবেশন করবেন বিদুষী বম্বে জয়শ্রী। বাংলাদেশের অসিত দে পরিবেশন করবেন কণ্ঠসংগীত। সেতার বাদন করবেন পণ্ডিত পূর্বায়ণ চট্টোপাধ্যায়। কণ্ঠসংগীত পরিবেশন করবেন পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তী।পাবলো পিকাসো বা মেরিলিন মনরোর মতো বিখ্যাতজনদের কেউ কেউ তাঁদের মায়ের নামেই পরিচিত হয়েছেন। নেদারল্যান্ডে কোনো কোনো ক্ষেত্রে মায়ের নামে সন্তানের পরিচিতির রীতি আছে। স্পেন ও স্প্যানিশ ভাষাভাষী দেশগুলোতে সন্তানের নামে বাবার নামের পাশাপাশি মায়ের নাম থাকাটাই রীতি। কিন্তু দুনিয়াজুড়ে এখনো মায়ের নামে সন্তানের নাম রাখা নিয়ে আছে নানা অস্বস্তি।ব্রিটিশ লেখক ও ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক রেবেকা হার্ডি চান তাঁর সন্তানদের নামে ওদের বাবার নাম নয়, মায়ের নামটাই থাকুক। এক মায়ের এ মনোবাসনাকে বৈপ্লবিক কিছুও মনে করেন না রেবেকা, কিন্তু তাঁর এ ইচ্ছাকে স্বাভাবিকভাবে নিতে পারেননি অনেকেই। দ্য গার্ডিয়ান পত্রিকায় শুক্রবার এক ফিচার প্রতিবেদনে এ নিয়ে তাঁর ভাবনা ও অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছেন রেবেকা হার্ডি। এখানে প্রথম আলোর পাঠকদের জন্য তারই সংক্ষিপ্তসার তুলে ধরা হল।রেবেকা লিখেছেন, আমার বয়স যখন ১২, তখন ‘এভরিথিং বাট দ্য গার্লে’র একটা গান আমার মনে গভীর দাগ কেটেছিল। বুঝে বা না বুঝেই গানের যে লাইনগুলো আমি গুন গুন করতাম তা হলো— ‘সন্তানকে একটা নাম দিতেই হয়/ হ্যাঁ, তুমি বলো তাঁরটা, দোষ কী আমারটায়? বলো দোষ কী আমারটায়?’ জানি না গানটির লেখক ট্র্যাসি থর্ন ১২ বছরের মেয়েদের মনে কিছু গেঁথে দিতে চেয়েছিলেন কি না, কিন্তু কথাগুলো নিজেরাই নিজেদের স্থান করে নিয়েছিল। ২০ বছর পর আমার প্রথম সন্তানের নাম রাখার সময়ে গানটা আবার আমার জীবনে ফিরে আসে।তাঁর মেয়ের নামকরণ প্রসঙ্গে রেবেকা লিখেছেন, ‘আমাদের মেয়ে পারিবারিক নাম হিসেবে বাবার নামের বদলে আমার নাম পেয়েছিল। বৈপ্লবিক, না? আপনি নিশ্চয়ই এমন ভাবছেন না? ভাবছেন কি? অন্তত এই আলোকপ্রাপ্ত, তথাকথিত ‘লৈঙ্গিক সমতার’ যুগে। কিন্তু দৃশ্যত বিষয়টি তা-ই—বাবা-মা দুজনের নামই হাইফেনযুক্ত হয়ে পারিবারিক নাম হিসেবে থাকাটা আজকাল চালু হলেও শুধু মায়ের নামে নাম এখনো বিরল।’ সাম্প্রতিক এক জরিপ অনুযায়ী মাত্র ৪ শতাংশ নারীর ক্ষেত্রে হয়তো নিজের নামে সন্তানের নাম রাখার সুযোগ হয়। আর বিশ্বমানচিত্রে নজর বোলালে দেখা যায় যে বিষয়টি সাধারণভাবে চর্চিতও নয়।রেবেকা তাঁর লেখায় বলেছেন, তবুও; দুনিয়াজুড়ে গণভাবে মেনে চলা এই চর্চায় আমি বিভ্রান্ত হয়ে যাই। নিশ্চিতভাবেই, অনেক নারীই কি তাঁদের পারিবারিক নামটাই বহন করতে চান? নিশ্চিতভাবেই কি আমরা ওই নাম ঘৃণা করি না? করি কী? আমি যখন এ নিয়ে ভাবতে শুরু করলাম, তখনো আমার কোনো ধারণা ছিল না যে এতে পুরুষরা আঘাত পাবেন। আমার কোনো ধারণাই ছিল না যে আমি একেবারেই নিগৃহীত হওয়ার মতো সংখ্যালঘু হয়ে যাব। এ বিষয়ে আমার যুক্তি কিছুটা ব্যক্তিগত এবং কিছুটা রাজনৈতিকও। এটা ঠিক যে বাস্তব ও আবেগের নিরিখেও আমার সন্তানেরাই এমন একটা পারিবারিক নামের শেষ বহনকারী হবে, যা আমার ভালোই লাগত। কিন্তু ওই অবাধ্য চিন্তাও মাথায় আসে যে, কেন ওরা বিনা বিচারে বাবার নামের বহনকারীই হবে? কতটা লিঙ্গবৈষম্যমূলক, কী অচল ধ্যানধারণা এটা!দাম্পত্যে বিষয়টি নিয়ে স্বামীর সঙ্গে আলোচনায় যে অভিজ্ঞতা রেবেকা পেয়েছেন তা লিখতে গিয়ে তিনি উল্লেখ করেন, ‘সৌভাগ্যবশত আমার জীবনসঙ্গী অ্যান্ড্রু নির্বিঘ্ন জীবনযাপনকারী একজন আলোকিত মানুষ। বিষয়টি নিয়ে ঠান্ডা মাথায় কথা বলার জন্য পানীয় হাতে বসে শান্ত হয়ে তার সঙ্গে কথা বলি আমি। এ প্রসঙ্গে অ্যান্ড্রুর বক্তব্য, এ নিয়ে সে সুখী। অ্যান্ড্রু বলেছিল, তার কাছে এটাই স্বাভাবিক মনে হয়েছে। সে বলেছিল, ‘বাচ্চারা তোমার নামই পাবে—বিয়ে বা অন্য কিছুতেই আমরা প্রথাগত জীবনযাপন করিনি। তুমি নয় মাস ওদের গর্ভে ধরেছ এবং জন্ম দিয়েছ। ওরা তোমার পাবে—এটাই আমার কাছে ভালো মনে হয়েছে।’ হাইফেনযুক্ত করে বাবা-মা দুজনের নাম দিলে কেমন হয়? রেবেকা লিখেছেন, এ প্রসঙ্গে অ্যান্ড্রু জানিয়েছিল, ‘ওটা ঝামেলার মনে হয়, যেন আমরা জোর করে কিছু করছি। আর তারপর কথা হবে, কার নাম আগে থাকবে তা নিয়ে। আমি বলতে চাইছি, নিজের পারিবারিক নাম হারিয়ে অন্য কারও নাম ধারণ করার পুরো বিষয়টাই গোলমেলে—বিয়ের পর সব মেয়ের কাছ থেকেই এটা আশা করা হয়। আর এটা মেয়েদের জন্য পুরুষের কাছে নিজের অধীনতার পরিচয় বহনকারী একটা প্রকট প্রতীক।’ আর এর উত্তরে রেবেকা বলেছিলেন, আমি জানি! তবুও জানতে চাই, তোমার কী মনে হচ্ছে না যে তোমাকে খাটো করা হচ্ছে? এরপর রেবেকা লিখেছেন, জবাবে মৃদু হেসে অ্যান্ড্রু জানাল, ‘ইতিহাস জুড়েই হয়তো নিজের নামের ওই বন্ধনটা পুরুষদের প্রয়োজন ছিল নিজেকে আরও বেশি দায়িত্বশীল আর সংযুক্ত রাখার জন্য। কিন্তু আজকের দিনে এটা অর্থহীন, আত্মকেন্দ্রিক এবং পুরোনো ধ্যানধারণার পরিচায়কই বটে। ‘হয়তো ছোট্ট একটা ভয় কাজ করতে পারে যে কোনোদিন সীমান্ত-চৌকিতে বা এমন অন্য কোথাও নাম নিয়ে ওরা ঝামেলায় পড়তে পারে। আর তা ছাড়া আমি আমার বাবা ও মা দুই পক্ষের পারিবারিক উত্তরাধিকারকেই সমান গুরুত্ব দিই। আমার নিজের কাছে সন্তানেরা আমাদের দুজনেরই, যেমন এখনকার মানুষেরাও। বাপ-দাদার নামে কী আসে-যায়।’খুবই আধুনিক এমন দম্পতির জন্য সন্তানের নাম রাখা নিয়ে পিতৃতান্ত্রিক ধ্যান-ধারণা বদলে ফেলা নিয়ে তেমন কোনো সংকট সৃষ্টি না হলেও এ দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণে সমাজ এখনো প্রস্তুত নয় বলে মনে করেন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিত্সক নিকোলা ডাইসন। তাঁর মতে, পরিবারের ধারণা বদলে যাচ্ছে। পঞ্চাশের দশকের পরিবারের ধারণা আজকের দিনে অনেকটাই বদলেছে। তাই আমাদের সন্তানের নামকরণের সংস্কৃতিও বদলাবে এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই।কোনো দম্পতির মধ্যে এ নিয়ে বিরোধ না থাকলেও অনেক সময় বৃহত্তর পরিবারের সদস্যরা তাঁদের বংশগতির ধারক-বাহকদের নাম রাখা নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে উঠতে পারেন। চিকিত্সক ডাইসন বলছেন, ‘এসব ক্ষেত্রে বিরোধ যা-ই থাকুক না কেন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো শিশুদের ওই বিরোধ থেকে দূরে সরিয়ে রাখা। তাদের এটা বুঝতে না দেওয়া যে ওদের নাম নিয়েই যুদ্ধটা চলছে। এটা তাদের পরিচয়, নিজের সম্পর্কে তাদের ধারণা।’
বৃষ্টির মধ্যে রাজশাহীতে আজ রোববার ইসলামী ছাত্রশিবিরের ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ঢিলেঢালাভাবে চলছে।ভোরে হরতাল শুরুর আগেই শিবিরকর্মীরা আগুন জ্বালিয়ে ও ট্রাক ভাঙচুর করে বিক্ষোভ করেন। এরপর থেকে নগরের কোথাও হরতালকারীদের দেখা যায়নি এবং কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে শিবিরের কর্মীরা নগরের হাদির মোড় এলাকায় রাজশাহী-নাটোর সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে ও ইট ভেঙে বিক্ষোভ করতে থাকেন। প্রায় ১৫ মিনিট ধরে বিক্ষোভ করার পর তাঁরা সেখান থেকে চলে যান। একই সময়ে শিবিরের কর্মীরা নগরের খড়খড়ি বাইপাস এলাকায় একটি ট্রাকে ভাঙচুরের চেষ্টা চালান।এদিকে ভোর সাড়ে ছয়টা থেকে রাজশাহীতে বৃষ্টি হচ্ছে।নগরে হালকা যানবাহন চলাচল করলেও দূরপাল্লার কোনো বাস ছেড়ে যায়নি।ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।এ ছাড়া নাটোর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও পাবনায়ও আজ ঢিলেঢালাভাবে হরতাল চলছে।রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন ইয়াহইয়াসহ আটক শিবিরের নেতা-কর্মীদের মুক্তির দাবিতে রাজশাহী, নাটোর, পাবনা ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় এই হরতালের আহ্বান করে ছাত্রশিবির।মো. আফলাতুন, সহকারী অধ্যাপক, বিএমটিটিআই, গাজীপুরবিরামচিহ্ন অংশ-৯প্রিয় শিক্ষার্থী, সমাপনী পরীক্ষায় বাংলা বিষয়ে ১০ নম্বর প্রশ্ন থাকবে ‘বিরাম চিহ্ন বসিয়ে অনুচ্ছেদ পুনর্লিখন’-এর ওপর। নম্বর থাকবে ৫। তোমাদের চর্চার জন্য নিচে এর কিছু নমুনা দেওয়া হলো।২২.সময়টা ১৯৭১ সালের ৫ সেপ্টেম্বর যশোরের পাকিস্তানি ঘুঁটিপুর ক্যাম্প ওই ক্যাম্পে অবস্থান করছিল পাকিস্তানি সেনা আর কিছু রাজাকার একটু দূরে গোয়ালহাটি গ্রামে টহল দিচ্ছিলেন পাঁচ মুক্তিযোদ্ধা এঁদেরই নেতৃত্বে ছিলেন ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ শেখ পাকিস্তানি সেনারা টের পেয়ে যায় মুক্তিযোদ্ধাদের অবস্থান রাজাকারদের সহায়তায় তিন দিক থেকে তারা তাদের ঘিরে ফেলে।উত্তর: সময়টা ১৯৭১ সালের ৫ সেপ্টেম্বর। যশোরের পাকিস্তানি ঘুঁটিপুর ক্যাম্প। ওই ক্যাম্পে অবস্থান করছিল পাকিস্তানি সেনা আর কিছু রাজাকার। একটু দূরে গোয়ালহাটি গ্রামে টহল দিচ্ছিলেন পাঁচ মুক্তিযোদ্ধা। এঁদেরই নেতৃত্বে ছিলেন ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ শেখ। পাকিস্তানি সেনারা টের পেয়ে যায় মুক্তিযোদ্ধাদের অবস্থান। রাজাকারদের সহায়তায় তিন দিক থেকে তারা তাদের ঘিরে ফেলে।২৩.মামা বললেন এগুলো হচ্ছে মাটির শিল্পকলা শিল্পকলা কথাটি বেশ ভারী ভারী মনে হলো মামা বুঝিয়ে বললেন যখন কোনো কিছু সুন্দর করে আঁকি সুন্দর করে বানাই সুন্দর করে গাই তখন তা হয় শিল্প শিল্পের এ কাজকে বলে শিল্পকলা দেশের সবচেয়ে প্রাচীন শিল্প হচ্ছে মাটির শিল্প।উত্তর: মামা বললেন, এগুলো হচ্ছে মাটির শিল্পকলা। শিল্পকলা কথাটি বেশ ভারী ভারী মনে হলো। মামা বুঝিয়ে বললেন, যখন কোনো কিছু সুন্দর করে আঁকি, সুন্দর করে বানাই, সুন্দর করে গাই, তখন তা হয় শিল্প। শিল্পের এ কাজকে বলে শিল্পকলা। দেশের সবচেয়ে প্রাচীন শিল্প হচ্ছে মাটির শিল্প।২৪.গ্রামের নাম আনন্দপুর মামার বাড়ি কথায় আছে মামার বাড়ি রসের হাঁড়ি আসলেই তাই পড়া নেই বাধা নেই যেখানে খুশি ঘুরে বেড়াও যা খুশি খাও এই তো মামার বাড়ি গেল বছর পয়লা বৈশাখের ছুটিতে গিয়েছিলাম আনন্দপুর সেখানে পয়লা বৈশাখে মেলা বসে মামা বললেন তোমাদের মেলা দেখতে নিয়ে যাব।উত্তর: গ্রামের নাম আনন্দপুর। মামার বাড়ি। কথায় আছে মামার বাড়ি রসের হাঁড়ি। আসলেই তাই। পড়া নেই, বাধা নেই, যেখানে খুশি ঘুরে বেড়াও, যা খুশি খাও। এই তো মামার বাড়ি। গেল বছর পয়লা বৈশাখের ছুটিতে গিয়েছিলাম আনন্দপুর। সেখানে পয়লা বৈশাখে মেলা বসে। মামা বললেন, তোমাদের মেলা দেখতে নিয়ে যাব।# পরবর্তী অংশ ছাপা হবে আগামীকালসিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বুধবার রাতে ছাত্রীহল ও উপাচার্যের বাসভবনের পাশে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় ক্যাম্পাসে নিয়মিত টহল পুলিশের পাশাপাশি আর্মড পুলিশও মোতায়েন করা হয়েছে।এদিকে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে গুচ্ছপদ্ধতির সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা বহাল রাখায় ফের আন্দোলন শুরু হচ্ছে। বিএনপি ও জামায়াত-সমর্থিত রাজনীতিবিদ, শিক্ষাবিদ, অভিভাবক ও সামাজিক সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত ‘সচেতন সিলেটবাসী’ এই আন্দোলনে নামছে।বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, শিক্ষক মুহম্মদ জাফর ইকবালের বাসা ও ছাত্রী হলের আশপাশে সশস্ত্র পুলিশের দল সার্বক্ষণিক পাহারায় রয়েছে। সিলেট মহানগর পুলিশ (এসএমপি) এ তথ্য জানিয়েছে।বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জানা যায়, ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত ও পরীক্ষাপদ্ধতি নিয়ে সৃষ্ট উদ্ভূত পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মুহম্মদ জাফর ইকবাল ও ইয়াসমিন হকের পদত্যাগ করার ঘোষণা এবং পরে সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে তাঁদের পদত্যাগপত্র প্রত্যাহারের ঘটনার পরপরই রাতে ক্যাম্পাসে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। রাত প্রায় সাড়ে নয়টার দিকে উপাচার্যের বাসার সামনে চারটি, ছাত্রীহল ও টিচার্স কোয়ার্টারের মধ্যবর্তী স্থানে তিনটি ককটেল বিস্ফোরিত হয়।মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) বলেন, আর্মড পুলিশ দল ছাত্রীহলসহ শিক্ষক ও উপাচার্যের বাসভবনের দিকে বিশেষ নজর রাখবে।অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিল সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা পুনর্বহাল করায় বুধবার রাতে জরুরি সভা করে আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করে সচেতন সিলেটবাসী। গতকাল বৃহস্পতিবার সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে পরীক্ষাপদ্ধতি বাতিলের সুস্পষ্ট ঘোষণা না দিলে আগামী ১ ডিসেম্বর রোববার বিশ্ববিদ্যালয় অভিমুখে পদযাত্রা করবে তারা। এর পরও বাতিল না করা হলে ভর্তি পরীক্ষার তারিখ নির্ধারিত হওয়া মাত্র হরতালের মতো কঠোর কর্মসূচি ঘোষণারও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। নগরের হাউজিং এস্টেট এলাকায় বুধবার রাতে নগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও ‘সচেতন সিলেটবাসী’র আহ্বায়ক রেজাউল হাসান লোদীর সভাপতিত্বে ওই সভা হয়। রেজাউল হাসান জানান, ১ ডিসেম্বর বেলা ১১টায় নগরের আম্বরখানা মোড় থেকে বিশ্ববিদ্যালয় অভিমুখে পদযাত্রা হবে। ওই পদযাত্রার পর দাবি আদায় না হলে পরবর্তী কর্মসূচিও চূড়ান্ত করে রাখা হয়েছে। ভর্তি পরীক্ষার তারিখ নির্ধারিত হলে আগের দিন অবরোধ এবং পরীক্ষার দিন হরতাল করে দাবি আদায়ে কর্তৃপক্ষকে বাধ্য করা হবে। এই আন্দোলন অঞ্চলভিত্তিক কোনো শিক্ষার্থীদের স্বার্থের আন্দোলন নয় জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের আন্দোলন কোনো ব্যক্তিবিশেষের বিরুদ্ধে নয়, আবার কারও পক্ষেও নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে কোনো কোটা নির্ধারণও আমরা চাই না। আমরা চাই সমন্বিত ভর্তি কার্যক্রম যেন একটির সঙ্গে না হয়। হলে বাংলাদেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে হবে।’বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮-দলীয় জোটের ‘গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা’র কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে আজ সোমবার দ্বিতীয় দিনের মতো সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও ক্ষমতাসীন দলের কর্মীরা।সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন প্রবেশমুখে যানবাহন ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। ‘সংবাদকর্মী’ স্টিকারসংবলিত পরিবহন আটকে হয়রানি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।গণপরিবহন না থাকায় আজও চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন সাধারণ যাত্রীরা। তল্লাশির নামে বিভিন্ন স্থানে আজও সকাল থেকে পুলিশ ও ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীদের হয়রানির শিকার হচ্ছেন মানুষ।প্রতিনিধিদের পাঠানো প্রতিবেদন:টঙ্গী: টঙ্গীর স্টেশন রোড এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে আজ সকাল থেকে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে পুলিশ ও ক্ষমতাসীন দলের কর্মীরা। এসময় রিকশা, অটোরিকশাসহ কোনো ধরনের যানবাহন রাজধানীতে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। এমনকি সংবাদকর্মী লেখা স্টিকারযুক্ত মোটরবাইকও রাজধানীতে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি বলে খবর পাওয়া গেছে। তাই চরম দুর্ভোগে পড়েন সাধারণ যাত্রীরা। তবে দুপুর সোয়া ১২টার দিকে টঙ্গী স্টেশন রোড ও আব্দুল্লাহপুরে মহাসড়ক থেকে প্রতিবন্ধকতা তুলে নেওয়া হলে যান চলাচল শুরু হয়।সকালে টঙ্গী থেকে তাঁর ব্যক্তিগত মোটরসাইকেলে চড়ে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে কর্মস্থলের দিকে রওনা হন এটিএন বাংলার ডেসপ্যাচ রিডার মো. আবু সাঈদ। সকাল নয়টার দিকে স্টেশন রোড এলাকায় পৌঁছালে পুলিশ তাঁর গতিরোধ করে। এ সময় পরিচয়পত্র, ব্যাগে অফিসের কাগজপত্র দেখানোর পরও তাঁকে বাড়িতে ফেরত যাওয়ার নির্দেশ দেয় পুলিশ। অন্যথায় আটকের হুমকি দেওয়া হয়। এ ঘটনার প্রতিবাদ করলে স্থানীয় সংবাদকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের বাগবিতণ্ডা হয়।এ সময় গাজীপুর জেলা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের পরিদর্শক মোহাম্মদ ইকবাল সাংবাদিকদের স্পষ্ট জানিয়ে দেন, আবু সাঈদকে ঢাকায় যেতে দেওয়া হবে না। কী কারণে তাঁকে যেতে দেওয়া হবে না—জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমার সন্দেহ, আবু সাঈদ নকল পরিচয়পত্র বহন করছেন।’ একপর্যায়ে সংবাদকর্মীরা এটিএন বাংলার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানোর উদ্যোগ নিলে ওই পুলিশ কর্মকর্তা আবু সাঈদকে আশুলিয়া বাইপাস দিয়ে ঢাকা যাওয়ার অনুমতি দেন।দুপুর সোয়া ১২টা পর্যন্ত টঙ্গী স্টেশন রোড এলাকায় কোনো ধরনের যানবাহন প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। সব গাড়ি আশুলিয়া বাইপাস দিয়ে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে।পুরান ঢাকা : বুড়িগঙ্গা প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় সেতুতে গতকালের মতো আজও অবস্থান নিয়েছেন পুলিশ ও ক্ষমতাসীন দলের কর্মীরা। কোনো ধরনের পরিবহন ঢাকায় প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। বুড়িগঙ্গা নদীতে খেয়া নৌকাসহ সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। যান চলাচল বন্ধ রয়েছে ঢাকা-মাওয়া সড়কেও। পুরান ঢাকা এলাকায় গতকালের তুলনায় আজ পুলিশের উপস্থিতি বেশি। অন্যান্য এলাকায় বাস না চললেও পুরান ঢাকার সদরঘাট থেকে জুরাইন-যাত্রাবাড়ী পথে কিছু কিছু লেগুনা চলছে।সদরঘাট টার্মিনাল থেকে আজও কোনো লঞ্চ ছেড়ে যায়নি। তবে হাতিয়া থেকে এমভি ফারহান-৩ ও দৌলতপুর থেকে এমভি টিপু-৫ নামের দুটি যাত্রীবাহী লঞ্চ ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসে। এ লঞ্চ দুটি ভোরে সদরঘাট টার্মিনালে না ভিড়ে পুরান ঢাকার ফরাশগঞ্জ ঘাটে যাত্রী নামিয়ে দেয়। সদরঘাট টার্মিনালে শত শত যাত্রী লঞ্চের অপেক্ষায় বসে আছেন। টার্মিনালে অপেক্ষমাণ যাত্রীদের মধ্যে চাঁদপুর ও শরীয়তপুর এলাকার যাত্রী তুলনামূলকভাবে বেশি।
সপ্তাহের প্রথম দিন আজ রোববার সূচকের ওঠানামার প্রবণতায় লেনদেন চলছে ঢাকার শেয়ারবাজারে। দুপুর ১২টায় দেড় ঘণ্টা শেষে ডিএসইতে ১৩০ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এ সময় ডিএসইতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। ফলে সূচকও কমেছে।ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে জানা যায়, দুপুর ১২টায় ডিএসইর ডিএসইএক্স সূচক ৯ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৪০০৩ পয়েন্টে।এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় ডিএসইতে লেনদেন শুরু হয়। বেলা ১১টায় সূচক ২১ পয়েন্ট বেড়ে যায়। এরপর সূচক বাড়ার হার কমতে শুরু করে, যা এখনো অব্যাহত রয়েছে।এ সময়ে ডিএসইতে ২৭৫ কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে। হাতবদল হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ১০২টির, কমেছে ১৩৭টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৬টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম।আলোচ্য সময়ে ডিএসইতে লেনদেনে শীর্ষে থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে বিএসসিসিএল, সিএমসি কামাল, কনটিনেন্টাল ইনস্যুরেন্স, রহিমা ফুড, প্রাইম ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড, জেএমআই সিরিঞ্জ, জেনারেশন নেক্সট ফ্যাশন, তাল্লু স্পিনিং, আরগন ডেনিমস, ইউনিক হোটেল প্রভৃতি।দশ বছর পর চট্টগ্রাম নগর ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষিত হওয়ার পর আজ বুধবার নগরের বিভিন্ন স্থানে মিছিল, গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছেন পদবঞ্চিত নেতা-কর্মীরা।আজ রাত আটটার দিকে নগরের জিইসি মোড়, ষোলশহর, জামালখানসহ বিভিন্ন স্থানে এই ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।জানা গেছে, আজ চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের ২৪ সদস্যের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ এই কমিটি ঘোষণা করে। নতুন কমিটিতে ইমরান উদ্দিনকে সভাপতি ও নুরুল আজিম রণিকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে।কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিদ্দিকী নাজমুল আলম কমিটি গঠনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।এদিকে কমিটি গঠনের পর এমইএস কলেজের পদবঞ্চিত ছাত্রলীগনেতা মো. ওয়াসিমের অনুসারীরা আট থেকে দশটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেন।অন্যদিকে জামালখান ও আনগরকিল্লা এলাকায় আওয়ামী লীগ নেতা আ জ ম নাসির উদ্দিন সমর্থিত পদবঞ্চিত ছাত্রলীগ নেতারা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন।পাঁচলাইশ অঞ্চলের সহকারি কমিশনার (এসি) আবদুর রউফ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ছাত্রলীগের পদবঞ্চিতরা বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ করেছেন।আমেনা বেগমের (৪০) ছোট ছেলেটির দুদিন ধরে জ্বর ও বমি। এই খবর পাওয়ার পর গত বুধবার বিকেল থেকে কমলাপুর রেলস্টেশনের প্ল্যাটফর্মে তিনি রংপুরগামী ট্রেনের অপেক্ষায় আছেন। ট্রেন যদি চলে যায় এই ভয়ে নির্ঘুম রাত কাটিয়েছেন। কিন্তু ট্রেন আসেনি।বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮-দলীয় জোটের অবরোধের তৃতীয় দিনে গতকাল বৃহস্পতিবার আমেনার মতো আরও অনেকে কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যে পৌঁছাতে এভাবেই অপেক্ষায় ছিলেন। দূর থেকে রোগী নিয়ে ঢাকায় আসার সময়ও পথে পথে ভোগান্তিতে পড়েছেন অনেকে।গতকাল বেলা দেড়টায় কমলাপুর রেলস্টেশনে কথা হয় আমেনা বেগমের সঙ্গে। তিনি জানান, তাঁর গ্রামের বাড়ি গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরে। ১৫ দিন আগে তিনি ঢাকায় এসে গেন্ডারিয়ায় দিনমজুরের কাজ শুরু করেন। এই কদিনে মাত্র পাঁচ দিন কাজের সুযোগ পেয়েছেন। দৈনিক ২০০ টাকা করে পাঁচ দিনে এক হাজার টাকা আয় করেছেন। ঘরভাড়া বাবদ দিয়েছেন ৭০০ টাকা আর ৩০০ টাকা খরচ হয়েছে খাবারের জন্য। কিন্তু গত কদিনের অবরোধে তিনি কোনো কাজ পাননি। বুধবার সকালে তাঁর স্বামী জলিল মিয়া একজনের ফোনে ছোট ছেলে রাজুর (১০) ভীষণ জ্বর ও বমির খবর জানান। ছেলেকে দেখার জন্য গ্রামের বাড়ি যেতে একজনের কাছ থেকে ২০০ টাকা ধার করে তিনি কমলাপুর রেলস্টেশনে এসেছেন।অশ্রুসজল চোখে আমেনা জানান, ‘ছেলেটাকে দেখবার জন্য বুকটা ছটফট করতেছে, ভয়ে বুকটা ছ্যাঁত কইরা উঠতেছে। যারা হরতাল দিসে তাগো অবস্থা আমার মতো হইলে হেরা আমার কষ্ট বুঝবার পারতো।’আমেনার পাশেই বসেছিলেন আমিনা (৫০)। তাঁর বাড়ি দিনাজপুর। নির্মাণশ্রমিকের কাজ করেন তিনি। সিমেন্টের বোঝা টানতে গিয়ে তিনি পড়ে ব্যথা পেয়েছেন। ঢাকায় তাঁকে দেখার কেউ নেই। তাই গ্রামে ফিরে যেতে বুধবার সন্ধ্যায় স্টেশনে এসেছেন। এখানে এসে তিনি আরও দুর্ভোগে পড়েছেন। প্রচণ্ড জ্বর নিয়ে অপেক্ষা করেছেন তবুও ট্রেন পাননি।আমিনা বলেন, ‘আমাগো অসুবিধার কথা কেউ ভাবে না, তারা ভোটের লাগি মারামারি করে। আর এই যে জ্বর নিয়া বসি আছি, কষ্ট পাইতেছি, তা নিয়া কারও মাথাব্যথা নাই?’রেলস্টেশনের প্ল্যাটফর্মে মাথায় হাত দিয়ে ছেলেমেয়ে নিয়ে বসেছিলেন রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার তিস্তা গ্রামের বাসিন্দা শাফিয়ত জামান। সাভারে ভাঙারির ব্যবসা করেন তিনি। কয়েক দিন আগে তাঁর মা সুফিয়া খাতুন মারা গেছেন। কুলখানির জন্য গ্রামের বাড়ি যেতে গতকাল সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত তিনিও রংপুরগামী ট্রেনের অপেক্ষায় আছেন। তিনি প্রশ্ন রাখেন, ‘শান্তিমতো কি মায়ের কুলখানিও করতে পারমু না?বাংলাদেশ রেলওয়ের ঢাকার প্রধান ট্রেন নিয়ন্ত্রক জহিরুল হক রংপুর থেকে ছেড়ে আসা ট্রেনগুলো দেরি হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে প্রথম আলোকে বলেন, অবরোধের কারণে বিভিন্ন স্থানে সমস্যা হচ্ছে। তাই ট্রেন দেরি হয়েছে।যাত্রীদের কাছ থেকে জানা গেছে, মঙ্গলবার রাতে রংপুর থেকে ছেড়ে আসা কোনো ট্রেন গতকাল সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত কমলাপুর পৌঁছায়নি।অবরোধের কারণে রোগী নিয়েও অনেকে ভোগান্তির শিকার হয়েছেন। আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিসিডিডিআরবি)তে নরসিংদি থেকে ১০ বছরের মেয়েকে নিয়ে এসেছেন কবিতা রানী দাস। গতকাল বিকেলে তিনি এই প্রতিবেদককে জানান, একটি অ্যাম্বুলেন্সের চালককে চার হাজার টাকা ভাড়া দিয়ে রাজি করিয়ে তবেই ঢাকায় আসতে পেরেছেন।জমি ‘ঘুষ’ নেওয়ার অভিযোগ ওঠা বগুড়ার শাজাহানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল আলমকে অবশেষে প্রত্যাহার করা হয়েছে। শাজাহানপুর থানা থেকে প্রত্যাহার করে তাঁকে বরিশাল রেঞ্জে সংযুক্ত করা হয়েছে।বগুড়া জেলা পুলিশ সুপার মো. মোজাম্মেল হক আজ সোমবার প্রথম আলোকে বলেন, ‘পুলিশ সদর দপ্তর থেকে আজই আমরা আদেশ পেয়েছি। ওসি মাহমুদুলকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তাঁর স্থলে ঝালকাঠি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মান্নানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।’গত ২৩ ডিসেম্বর প্রথম আলোতে ‘ছি ছি, ওসি’ শিরোনামে প্রধান প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।এর পরিপ্রেক্ষিতে ওসি মাহমুদুল আলমের বিরুদ্ধে ওঠা জমি ‘ঘুষ’ নেওয়ার অভিযোগ তদন্তে দুটি কমিটি গঠন করা হয়। একই সঙ্গে বগুড়া থেকে তাঁকে প্রত্যাহারের অনুরোধ জানিয়ে ঢাকায় পুলিশ সদর দপ্তরে চিঠি পাঠানো হয়।মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াতের নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর সাজার রায় ঘোষণার পর ‘চাঁদে সাঈদীকে দেখা গেছে’—এমন গুজব ছড়িয়ে গত ৩ মার্চ বগুড়ার শাজাহানপুর থানা ও আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও আগুন দেওয়া হয়। এ সময় পুলিশের হামলায় চারজন নিহত হন। এসব ঘটনায় দায়ের করা চারটি মামলার মধ্যে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে ভাঙচুর ও আগুন দেওয়ার মামলার প্রধান আসামি জামায়াত নেতা শাজাহানপুর উপজেলার চেয়ারম্যান ইয়াছিন আলীর কাছ থেকে পাঁচ শতক জমি নিয়েছেন ওসি। জমিটির দলিল করা হয়েছে ওসির দুই ভাইয়ের নামে।অভিযোগ উঠেছে, অভিযোগপত্র থেকে নাম বাদ দেওয়া হবে এমন বোঝাপড়ার ভিত্তিতে ইয়াছিন আলীর কাছ থেকে বর্তমান বাজারদর অনুযায়ী ৩৫ লাখ টাকা দামের পাঁচ শতক জমি ‘ঘুষ’ হিসেবে নেন ওসি মাহমুদুল আলম। জমির দলিল করা হয়েছে ওসির দুই ভাই মাহবুবুর রহমান ও শাহিন রেজার নামে। তাঁদের বাড়ি সিরাজগঞ্জে। ছি ছি, ওসিসেই ওসির বিষয়ে তদন্ত শুরু, প্রত্যাহার চেয়ে চিঠি
আদালত অবমাননা আইন, ২০১৩ অবৈধ ও সংবিধান-পরিপন্থী ঘোষণা করে দেওয়া হাইকোর্টের রায়ের কার্যকারিতা স্থগিতাদেশ চেয়ে আবেদন করেছে রাষ্ট্রপক্ষ। আজ রোববার দুপুরে চেম্বার বিচারপতির আদালতে এ আবেদনের ওপর শুনানি হতে পরে।আজ সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় ওই রায়ের বিরুদ্ধে আবেদনটি করা হয়। অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড বখতিয়ার হোসেন আবেদনটি দায়ের করেন।আবেদনকারীরা হলেন মন্ত্রী পরিষদ সচিব, রাষ্ট্রপতির সচিবালয়ের সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব, আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব ও জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সচিব।রিট আবেদনকারীর আইনজীবী মনজিল মোরসেদ প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, রায়ের স্থগিতাদেশ চেয়ে করা আবেদনের কপি আমাদের দেওয়া হয়েছে। আজ দুপুরে চেম্বার বিচারপতির আদালতের এই আবেদনের ওপর শুনানি হওয়া কথা।গত বৃহস্পতিবার আদালত অবমাননা আইন, ২০১৩ অবৈধ ও সংবিধান-পরিপন্থী ঘোষণা করে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট।বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি এ বি এম আলতাফ হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের বেঞ্চ এক রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে এ রায় দেন।চলতি বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদে আদালত অবমাননা আইন, ২০১৩ পাস হয়। ১৯২৬ সালের আদালত অবমাননার আইন রহিত করে ২৩ ফেব্রুয়ারি গেজেট প্রকাশিত হয়। আইনের ৪, ৫, ৬, ৭, ৯, ১০, ১১ ও ১৩(২) ধারার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত ২৫ মার্চ দুই আইনজীবী রিট আবেদনটি করেন।প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত ৩ এপ্রিল আদালত রুল জারি করেন। রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে গতকাল আদালত রায় ঘোষণা করেন।রায়ে আদালত বলেন, ৪, ৫, ৬, ৭, ৯, ১০, ১১ ও ১৩(২) ধারা সংবিধানের ১০৮, ১১২ ও ২৭ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ও আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভুত।রায়ের পর অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেছিলেন, সাংবাদিকদের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও সরকারি কর্মচারীদের রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালনের কথা বিবেচনায় রেখে সরকার আইনটি প্রণয়ন করেছিল। আদালত আইনটি বাতিল ঘোষণা করেছেন। সরকার এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবে।হাইকোর্টের দেওয়া ওই রায়ের কার্যকারিতা স্থগিতাদেশ চেয়ে আজ আবেদন করেছে রাষ্ট্রপক্ষ।সব দলের অংশগ্রহণের ভিত্তিতে একটি নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের ব্যাপারে একমত হয়েছে বিএনপি, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)।দুই বাম দলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আরও দুই টার্ম তত্ত্বাবধায়ক সরকার রাখার বিষয়ে আদালত যে পরামর্শ দিয়েছিলেন, তা নিয়ে বিবেচনা করা উচিত।সিপিবি ও বাসদ আজ বুধবার রাতে বিএনপির সঙ্গে বৈঠকে এ প্রস্তাব করে। বৈঠকের পর এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সিপিবি-বাসদের সবগুলো প্রস্তাবে তাঁর দলের নেতা একমত না হলেও সব দলের অংশগ্রহণের ভিত্তিতে নির্বাচনের বিষয়টিতে একমত হয়েছেন।সংবাদ সম্মেলনে সিপিবির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম ও বাসদের সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।নেতারা জানান, বৈঠকে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল, ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মুবিন চৌধুরী, স্থায়ী কমিটির সদস্য আর এ গনি ও মঈন খান; সিপিবির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর আহমেদ, উপদেষ্টা মনজুরুল আহসান খান, হায়দার আকবর খান রনো ও সদস্য রুহিন হোসেন প্রিন্স এবং বাসদের সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামানসহ দলের নেতা রাজেকুজ্জামান ও বজলুর রশীদ ফিরোজ উপস্থিত ছিলেন।রাত পৌনে আটটায় শুরু হয়ে বৈঠক প্রায় রাত সাড়ে নয়টা পর্যন্ত চলে। সংবাদ সম্মেলনে মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম জানান, দুই বাম দলের পক্ষ থেকে বিএনপিকে জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গ ত্যাগ করতে আহ্বান জানানো হয়েছে। সেলিম বলেন, দেশের মঙ্গলের কথা ভেবে আওয়ামী লীগকে তত্ত্বাবধায়ক ইস্যুতে ছাড় দিতে হবে। সংকট সমাধানে কে কাকে ফোন করবেন সেই প্রোটকল নিয়ে চিন্তিত না হয়ে, দুই পক্ষকেই আন্তরিক হতে হবে।খালেকুজ্জামান বলেন, যদি নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হয়, তবে দেশ গভীর খাদে পড়ে যাবে। তাই দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি। তিনি বলেন, দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে বিদেশি হস্তক্ষেপের সুযোগ তৈরি হচ্ছে এবং এ সুযোগ করে দেওয়ার জন্য দেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দল দায়ী, কারণ তাঁরাই দেশের বেশি সংখ্যক জনগণের প্রতিনিধিত্ব করছেন।দুই বাম দলের পক্ষ থেকে গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশ সংশোধনের নিন্দা জানানো হয়।ছেলের লাশ দেখার ক্ষমতা নেই সত্তরোর্ধ্ব পেয়ারা বেগমের। দৃষ্টিশক্তিহীন তিনি। তাই পিকআপ ভ্যান থেকে যখন নামানো হলো লাশের খাট, হাতড়ে হাতড়ে তিনি তা স্পর্শ করলেন। বুক চাপড়ে আহাজারি করতে করতে বললেন, ‘এই খাটে কি তুমি শুয়ে আছ, বাবা? কথা কও বাপ, কথা কও!’ উত্তর মেলে না। এবার খাট জড়িয়ে ধরে আর্তনাদ। পেয়ারা বেগম বুঝে গেছেন, এ খাটেই চিরনিদ্রায় শায়িত তাঁর আদরের সন্তান মোজাম্মেল।গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের বারোদি ইউনিয়নের নগরহাটি গ্রামে মেঘনা নদীর তীরে শত শত মানুষ এমন মর্মান্তিক দৃশ্য দেখেছে, ভেসেছে চোখের জলে।নগরহাটি গ্রামেই শৈশব-কৈশোর কেটেছে মোজাম্মেলের। সংসারের হাল ধরতে ঢাকায় এসেছিলেন তিনি। চালাচ্ছিলেন লেগুনা। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ওই লেগুনায় পেট্রল ঢেলে আগুন দেয় অবরোধ সমর্থনকারীরা। পুড়ে যায় প্রায় পুরো শরীর। গত বুধবার মধ্যরাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে মারা যান তিনি।এর আগেও হরতাল-অবরোধে আগুন, পেট্রলবোমা ও ককটেল হামলায় নিহত হয়েছে মানুষ। খবর হয়েছে গণমাধ্যমে। ছাপা হয়েছে ছবি। তবু কমেনি সহিংসতা, বরং বাড়ছে। তাই ঘটনার কথা বলতে গিয়ে তীব্র ক্ষোভে ফেটে পড়লেন মোজাম্মেলের স্বজনেরা।মর্গের এক পাশে দুই হাতে মাথা ধরে কুঁজো হয়ে বসে ছিলেন মোজাম্মেলের বড় ভাই লেগুনাচালক মো. সোহেল। চোখে জল। মলিন মুখ। উষ্কখুষ্ক চুল। নিষ্পলক দৃষ্টি। ভাইয়ের মৃত্যুশোক স্তব্ধ করে দিয়েছে তাঁকে।স্বজনেরা জানান, সোহেল আর মোজাম্মেলই বৃদ্ধ পেয়ারার সম্বল। মোজাম্মেল যখন গর্ভে, তখন পেয়ারা হারিয়েছেন তাঁর স্বামী রিকশাচালক আরজু মিয়াকে। জন্মের পর মোজাম্মেলকে নিয়ে নারায়ণগঞ্জে গ্রামের বাড়িতে থাকতেন পেয়ারা। আর বড় ছেলে সোহেল ঢাকায় লেগুনা চালানো শুরু করেন। বৃদ্ধ হতে থাকেন মা। হারান দৃষ্টিশক্তি। আড়াই বছর আগে মা ও ভাইকে ঢাকায় নিয়ে আসেন সোহেল। নয় মাস ধরে পালা করে ভাইয়ের লেগুনা চালাচ্ছিলেন মোজাম্মেল।পিকআপ ভ্যানে নারায়ণগঞ্জে গ্রামের বাড়িতে লাশ নিয়ে যান স্বজনেরা। এরপর নিয়ে যাওয়া হয় তিন কিলোমিটার দূরে মেঘনা নদীর তীরে কবরস্থানে। গাড়ির পিছে ছুটে চলে শত শত মানুষ। দুজনের হাত ধরে হেঁটে চলেন মা পেয়ারা বেগম। নদীর পারে আহাজারি করছিলেন তিনি, ‘আমি তোমারে চোখে দেখবার পারতেছি না বাবা! মা কইয়া ডাকবা না?’মোজাম্মেলের ফুফু সাজেদা বেগম বলেন, অন্ধ হলেও দুই সন্তানই ছিলেন পেয়ারার আলো। মোজাম্মেলের মরণে তাঁর আন্ধা চোখের আলো নিভে গেল। সাজেদা আরও বলেন, ‘এখন রাজনীতিবিদদের কন, তারা যেন আমাদের সবার গায়ে পেট্রল দিয়া আগুন ধরাইয়া দেয়।’স্কিং করতে গিয়ে মারাত্মক আহত হয়েছেন সাতবার ফর্মুলা ওয়ান চ্যাম্পিয়ন মাইকেল শুমাখার। ফ্রেঞ্চ আলপসের মেরিবেলে মাথায় মারাত্মক ব্যথা পান ৪৪ বছর বয়সী শুমাখার। হেলমেট থাকা সত্ত্বেও মাথায় পাথরের আঘাত পান তিনি। রোববার স্থানীয় সময় বেলা ১১টা সাত মিনিটে এ দুর্ঘটনার শিকার হন তিনি।আহত হওয়ার সাত মিনিটের মধ্যেই তাঁকে উদ্ধার করে হেলিকপ্টারে স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়া হয়। এখন ফ্রেঞ্চ আলপসের গ্রেনবলের সিএইচইউ নোর্দ হাসপাতালে কোমায় রয়েছেন। ফর্মুলা ওয়ান কিংবদন্তির মস্তিষ্কে দ্রুত অপারশনের সিদ্ধান্ত নেন চিকিত্সকেরা। হাসপাতালে তাঁর স্ত্রী ও দুই সন্তান উপস্থিত ছিলেন। হাসপাতালের ডেপুটি ডিরেক্টর মার্ক পেনদ জানিয়েছেন, জীবন সংশয়ে রয়েছেন তিনি!যদিও মেরিবেল স্কিং রিসোর্টের পরিচালক ক্রিস্টোফ গার্নানিয়ন লেকোমথ জানিয়েছিলেন, ‘শুমাখার আঘাত পেয়েছেন বটে কিন্তু জ্ঞান হারাননি।’ সর্বশেষ পরিস্থিতি সম্পর্কে তাঁর ম্যানেজার সাবিন কেম বলেন, ‘আমরা বোঝার চেষ্টা করছি। কিন্তু তাঁর সর্বশেষ পরিস্থিতি জানাতে পারছি না। তিনি হেলমেট পরা ছিলেন। তা ছাড়া একাও ছিলেন না।’     গত বছরের অক্টোবরে ফর্মুলা ওয়ান থেকে অবসর নেওয়া এ জার্মান কিংবদন্তির মেরিবেলে একটি বাড়ি রয়েছে। ৩ জানুয়ারি ৪৫ বছরে পা দেবেন শুমাখার। জন্মদিনের ঠিক পাঁচ দিন আগে রোববার সকালে ১৪ বছরের ছেলেকে নিয়ে মেরিবেল স্কি রিসোর্টে স্কিং করতে গিয়ে ঘটল এ দুর্ঘটনা। এএফপি, রয়টার্স ও ওয়েবসাইট।এএফপি, রয়টার্স ও ওয়েবসাইট।
সংবিধান অনুসারে আগামী ২৫ অক্টোবর থেকে ২৪ জানুয়ারির মধ্যে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন হওয়ার কথা। কিন্তু নির্বাচনকালীন সরকারব্যবস্থা নিয়ে সরকারি ও বিরোধী দলের বিপরীতমুখী অবস্থানের কারণে নির্বাচন নিয়ে নানা শঙ্কা ও সংশয়ের মধ্যে আছে মানুষ।শেষ পর্যন্ত কী হবে? বিরোধী দলের সঙ্গে সরকার সমঝোতায় যাবে কি না, নির্বাচনের সময় সরকারপ্রধান কে থাকবেন, জাতীয় সংসদ বহাল থাকবে, নাকি ভেঙে দেওয়া হবে—এসব বিষয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের বেশির ভাগ নেতা ও মন্ত্রী অন্ধকারে আছেন।এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের পাঁচজন জ্যেষ্ঠ নেতার সঙ্গে এ প্রতিবেদকের কথা হয়। তাঁরা জানান, যা কিছু করছেন, প্রধানমন্ত্রী এককভাবেই করছেন। তাঁরা তেমন কিছু জানেন না। এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী কোনো পর্যায়ে এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক বা অনানুষ্ঠানিক কোনো আলোচনা হয়নি। জানতে চাইলে সরকারের তিনজন মন্ত্রীও একই কথা জানান। তাঁরা বলেন, ‘যেহেতু সংবিধানে নির্বাচনের কথা লেখা আছে, তাই কেবল এতটুকুই জানি, নির্বাচন হবে। কিন্তু নির্বাচন নিয়ে সৃষ্ট জটিলতা নিরসনে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হবে কি না, বা এ ব্যাপারে দলীয় অবস্থান কী, সে বিষয়ে কিছু জানি না। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এ নিয়ে কোনো কথা হয়নি। তিনিও আমাদের কিছু বলেননি।’অবশ্য প্রতিদিন সভা-সমাবেশ ও গণমাধ্যমে আওয়ামী লীগের নেতা ও মন্ত্রীরা নির্বাচন নিয়ে নানা বক্তব্য দিচ্ছেন। তাঁরা বলছেন, যেকোনো মূল্যে সংবিধান অনুযায়ী, অর্থাৎ দলীয় সরকারের অধীনেই নির্বাচন হবে। নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি মানা হবে না। সর্বশেষ গতকাল শনিবার ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, বিএনপি না এলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আওয়ামী লীগ একাই নির্বাচন করবে।আর প্রধান বিরোধী দল বিএনপির নেতারা অভিযোগ করছেন, বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিক, সেটা প্রধানমন্ত্রী চান না। তিনি একদলীয় নির্বাচনের পাঁয়তারা করছেন। বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া ঘোষণা দিয়েছেন, দলীয় সরকারের অধীন কোনো নির্বাচনে তাঁর দল যাবে না এবং ওই নির্বাচন হতেও দেবে না। তাঁরা ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন।এই অবস্থায় আগামী নির্বাচন নিয়ে সংঘাতময় পরিস্থিতির আশঙ্কার কথা বলা হচ্ছে বিভিন্ন মহল থেকে। তাই একটা সমঝোতায় আসার জন্য জাতিসংঘের মহাসচিবসহ বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকেরা প্রধান দুই দলকে সংলাপে বসার তাগিদও দিয়ে আসছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত সংলাপের কোনো সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না।এ নিয়ে সরকারি দলের পক্ষ থেকে কোনো উদ্যোগ শেষ পর্যন্ত নেওয়া হবে কি না, সেটাও বলতে পারছেন না দলের নেতারা। জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য নূহ-উল-আলম লেনিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘কেউ কিছু জানি না। দলের কোনো পর্যায়ে এসব বিষয়ে আলোচনা হয়নি। কেবল আমরা জানি, নির্বাচন হবে।’এদিকে মাস খানেক ধরে দলীয় প্রার্থী নির্বাচনের লক্ষ্যে আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ধারাবাহিক বৈঠক করছেন। আগামী ১২ অক্টোবরের মধ্যে দলের ৭৩টি সাংগঠনিক জেলার সঙ্গে তিনি বৈঠক শেষ করবেন। এরই মধ্যে প্রায় অর্ধেক সাংগঠনিক জেলার নেতাদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। কিন্তু চূড়ান্তভাবে প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে তৃণমূল নেতাদের মতামত কতটা বিবেচনায় নেওয়া হবে, সেটাও নিশ্চিত করে কেউ বলতে পারছেন না। কেন্দ্রীয় কয়েকজন নেতা জানান, প্রার্থী বাছাইয়ের জন্য তৃণমূলের সঙ্গে বৈঠক করার ব্যাপারে দলীয় কার্যনির্বাহী কমিটি বা সভাপতিমণ্ডলীতে কোনো আলোচনা হয়নি। দলের শীর্ষ পর্যায়ের নির্দেশে দলীয় দপ্তর থেকে জেলা-উপজেলায় চিঠি দিয়ে নেতাদের প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে ডেকে আনা হচ্ছে।এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাস খানেক ধরে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে জনসভা করে দলীয় প্রতীক নৌকায় ভোট চাইছেন। প্রধানমন্ত্রীর পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় আগামী নির্বাচনের দলীয় প্রচারের দায়িত্ব নিয়েছেন বলে জানা গেছে। তিনি সম্প্রতি ঢাকায় সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময়ে দলীয় প্রচার নিয়ে চমক দেখানোর কথাও বলেছিলেন। কিন্তু তেমন কোনো চমক শেষ পর্যন্ত দেখা যায়নি। ওই ঘোষণার পর তিনি গাজীপুর, ময়মনসিংহ ও টাঙ্গাইল এলাকায় দুই দিন সফর করেন এবং বিভিন্ন সমাবেশে নৌকায় ভোট চান। এরপর জয় যুক্তরাষ্ট্রে চলে গেছেন। তিনি আগামী ১৯ অক্টোবর আবার দেশে ফিরবেন। তাঁর উদ্যোগে আগামী নির্বাচনে দলীয় প্রচারে সহায়তার জন্য যুক্তরাষ্ট্র থেকে একজন প্রচার বিশেষজ্ঞ আনা হবে বলে জানা গেছে।আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া না হলেও প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম ইতিমধ্যে দলের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান হিসেবে কাজ করছেন। পদাধিকারবলে দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা এ কমিটির চেয়ারম্যান। ধানমন্ডির দলীয় কার্যালয়ের তৃতীয় তলায় আওয়ামী লীগের নির্বাচনী পরিচালনা কমিটির কার্যালয় রয়েছে।সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র থেকে জানা গেছে, আগামী ডিসেম্বরের শুরুতে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে ১০ জানুয়ারি ভোট করার একটা সম্ভাবনা রয়েছে। তার আগে সংসদ ভেঙে দেওয়ার চিন্তাও রয়েছে। অবশ্য এ নিয়ে দলের কোনো ফোরামে এখনো আলোচনা হয়নি।নিয়মিত সভা-সমাবেশ ও গণমাধ্যমে কথা বলে যাচ্ছেন—আওয়ামী লীগের এমন একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নেতা প্রথম আলোকে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর প্রকাশ্য বক্তব্য অনুসরণ করে তাঁরা বিভিন্ন সভা-সমাবেশে বক্তব্য দিচ্ছেন। কিন্তু আসলে কী হচ্ছে বা আগামী দিনের দলীয় কৌশল কী, সে বিষয়ে তাঁরাও নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারছেন না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এসব নেতারা আরও বলেন, কোথায় সিদ্ধান্ত হয়, প্রধানমন্ত্রী কাদের নিয়ে আলোচনা করেন, সেটা দলের বেশির ভাগ নেতা জানেন না।দলের বেশির ভাগ নেতাই মনে করেন, সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন হওয়া দরকার। বিএনপিকে ছাড়া নির্বাচন হলে তা প্রশ্নবিদ্ধ হবে। আওয়ামী লীগকেও একদলীয় নির্বাচন করার দুর্নামের ভাগীদার হতে হবে। এর আগে বিএনপি ও জাতীয় পার্টি একদলীয় নির্বাচন করলেও আওয়ামী লীগের এমন দুর্নাম নেই। এ জন্য আওয়ামী লীগের নেতাদের বড় অংশ মনে করেন, আলোচনা করে বিরোধী দলের সঙ্গে সমঝোতা জরুরি। কিন্তু দলীয় কোনো ফোরামে এ বিষয়ে খোলামেলা আলোচনা না হওয়ায় তাঁরা মত প্রকাশ করতে পারছেন না।জয়পুর থেকে নাগপুর। ১৬ থেকে ৩০ অক্টোবর—মিলে গেলে এক বিন্দুতে। জয়পুরে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে অস্ট্রেলিয়ার ৩৫৯ রান টপকে ৯ উইকেটের জয় তুলে নিয়েছিল ভারত। আজ নাগপুরেও ফিরে এসেছিল ওই ম্যাচেরও আবহ। ষষ্ঠ ওয়ানডেতে অস্ট্রেলিয়ার ৩৫০ রানের চ্যালেঞ্জটাও টপকে গেলেন মহেন্দ্র সিং ধোনিরা। এবারের জয়টা এসেছে ৬ উইকেটে।অস্ট্রেলিয়ার বড় সংগ্রহের কারিগর ছিলেন অধিনায়ক জর্জ বেইলি ও শেন ওয়াটসন। সেঞ্চুরি করেছিলেন দুজনেই। সেঞ্চুরি করে পাল্টা জবাব দিলেন শিখর ধাওয়ান ও বিরাট কোহলি। এর সঙ্গে রোহিত শর্মা আর ধোনির দৃঢ়তায় ভারত জয়ের দেখা পায় ম্যাচের তিন বল বাকি থাকতে। সাত ম্যাচের সিরিজ এখন ২-২-এ সমতায়। শনিবার শেষ ম্যাচটাই এখন অলিখিত ফাইনাল। বৃষ্টির কারণে সিরিজের চতুর্থ ম্যাচটি পরিত্যক্ত হয়। আর পঞ্চম ম্যাচে একটি বলও মাঠে গড়ানো সম্ভব হয়নি।৩৫১ রানের কঠিন লক্ষ্যে খেলতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতেই ১৭৮ রান তুলে ফেলে ভারত। রোহিত শর্মা ফিরে যান ৭৯ রান করে। আরেক উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান ধাওয়ান ফেরেন ১০০ স্পর্শ করেই। এরপর সুরেশ রায়না (১৬) ও যুবরাজ সিং (০) দ্রুত ফিরে গিলে কিছুটা অস্বস্তিতে পড়ে যায় স্বাগতিকেরা। তবে দুর্দান্ত খেলে সেই অস্বস্তি কাটিয়ে দেন সুরেশ রায়না। তাঁকে যথার্থ সঙ্গ দেন অধিনায়ক ধোনি। ৪২.৫ ওভারে ২৯০ রানে চতুর্থ উইকেট হারায় ভারত। এরপর আর উইকেট হারাতে হয়নি স্বাগতিকদের। দলের জয় নিশ্চিত করে ১১৫ রান নিয়ে অপরাজিত থাকেন কোহলি। তাঁর ৬৬ বলের ইনিংসটিতে ছিল ১৮টি চার ও একটি ছয়। ২৩ বলে ২৫ রানে অপরাজিত থাকেন ধোনি।এ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বড় সংগ্রহের মূল কারিগর ছিলেন জর্জ বেইলি। দলীয় সর্বোচ্চ ১৫৬ রান করেন তিনি। তাঁর ১১৪ বলের নান্দনিক ইনিংসটিতে ছিল ১৩টি চার ও ছয়টি ছয়ের মার। ১৩ চার আর তিন ছয়ে ৯৪ বলে ১০২ রান করেন ওয়াটসন।৪৫ রানের মধ্যে উদ্বোধনী দুই ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে বসেছিল অসিরা। ফিল হিউজ ব্যক্তিগত ১৩ ও আরোন ফিঞ্চ ২০ রানে আউট হন। কিন্তু তৃতীয় উইকেটে পাল্টে যায় দৃশ্যপট। ভারত যখন তৃতীয় উইকেটের দেখা পায়, ততক্ষণে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ দাঁড়ায় ২১৩ রান। বেইলি-ওয়াটসনের ১৬৮ রানের ভাঙেন মোহাম্মদ শামি।সংক্ষিপ্ত স্কোর:অস্ট্রেলিয়া: ৩৫০/৬ (৫০ ওভার)বেইলি ১৫৬, ওয়াটসন ১০২, ভোগস ৪৪*জাদেজা ২/৬৮, অশ্বিন /৬৪ভারত: ৩৫১/৪: (৪৯.৩ ওভার)কোহলি ১১৫*, ধাওয়ান ১০০, রোহিত ৭৯, ধোনি ২৫*ফল: ভারত ৬ উইকেটে জয়ীম্যাচ সেরা: বিরাট কোহলিসূত্র: ক্রিকইনফোপ্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নির্বাচন নিয়ে গুজব ছড়িয়ে লাভ হবে না। যথাসময়েই নির্বাচন হবে। তিনি বলেন, যে সিদ্ধান্ত নিয়েছি তা বাস্তবায়িত হবে।গতকাল বৃহস্পতিবার দলের ধানমন্ডির কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের সংসদীয় বোর্ডের বৈঠক শুরুর আগে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।শেখ হাসিনা বিএনপিকে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘মানুষ হত্যা বন্ধ করে নির্বাচন ও গণতন্ত্রের পথে আসুন।’ বিরোধীদলীয় নেত্রীর উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আন্দোলন করতে হলে মাঠে নামেন। এভাবে শিশু ও মহিলাসহ সাধারণ মানুষকে বোমা মেরে হত্যা করবেন না। আপনার নাকি হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ নেতা-কর্মী, তারা কই?’শিশুদের বিএনপি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ করে শেখ হাসিনা বলেন, ২০০ টাকা দিয়ে শিশুদের হাতে একটা বোমা ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ভিডিও ভাড়া করে ছবি তোলা হচ্ছে।অবরোধে নাশকতার মধ্যে চাঁদপুরের কৃষক তাজুলের সাহসিকতায় রেল দুর্ঘটনা থেকে ৫০০ যাত্রীর জীবন রক্ষা পাওয়ায় তাঁকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তাঁকে স্যালুট করি।’সম্প্রতি গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে নাগরিক সমাজের একটি প্রতিনিধিদলের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাতের ইঙ্গিত করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘রাজনৈতিক দলের প্রধান কীভাবে বিশিষ্টজন হন? তাহলে আমরা যারা রাজনীতি করি, তারা কি অবশিষ্ট? তিনি একজন সংবিধানপ্রণেতা হয়েও সংবিধান ভঙ্গের কথা বলছেন। উনি নিজের তৈরি সংবিধান ভাঙার পরামর্শ দিয়ে বিশিষ্ট হয়ে গেলেন?’গতকাল বেলা তিনটায় সংসদীয় বোর্ডের বৈঠক মুলতবি হওয়ার পর তোফায়েল আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, আজ শুক্রবারের মধ্যে ৩০০ আসনে দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত হবে। তারপর ১৪ দলের সঙ্গে আলোচনা করে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করে হবে। আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস জানান, গতকাল বিকেল পর্যন্ত চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগ ছাড়া বাকি পাঁচ বিভাগে ১৭৯ জনের প্রার্থিতা নিশ্চিত করা হয়েছে।শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সংসদীয় বোর্ডের সভায় সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮-দলীয় জোটের ‘গণতন্ত্রের অভিযাত্রা’ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে আজ সোমবার দ্বিতীয় দিনের মতো গুলশানে বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়ার বাড়ি ঘিরে রেখেছে ১০ প্লাটুন পুলিশ।গতকালের মতো আজও তাঁর বাড়ির পূর্ব পাশের গলিতে আড়াআড়িভাবে বালুভর্তি ট্রাক রাখা আছে। সেখানে জলকামানও রাখা আছে। পুলিশ, র্যাব ও সাদা পোশাকে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তাদের তত্পরতা দেখতে পাওয়া গেছে।সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার জন্য উপস্থিত পুলিশ সদস্যদের মধ্যে দায়িত্বশীল কাউকে পাওয়া যায়নি। আজও খালেদা জিয়াকে বাড়ি থেকে বের হতে বাধা দেওয়া হবে কি না, এ ব্যাপারে কেউ মুখ খুলছেন না।খালেদা জিয়ার বাড়ির সামনে কত দিন বালুভর্তি ট্রাক এভাবে থাকবে, জানতে চাইলে চালক জসিম বলেন, যত দিন পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নির্দেশ থাকবে, তত দিন এখানে থাকতে হবে।বিএনপির কোনো নেতা-কর্মীকে গুলশান ২ নম্বর থেকে খালেদা জিয়ার বাড়ি পর্যন্ত আসতে দেখা যায়নি।গতকাল পুলিশের বাধার মুখে এক ঘণ্টা চেষ্টা করেও গুলশানের বাসভবন থেকে বেরিয়ে আসতে পারেননি বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ‘গণতন্ত্রের অভিযাত্রা’য় যোগ দিতে বেলা তিনটার পর গুলশানের বাসভবন থেকে বের হয়ে গাড়িতে ওঠেন খালেদা জিয়া। সকাল থেকে বাড়ির মূল ফটকের সামনে ছিলেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্য।খালেদা জিয়ার গাড়ি বাড়ির মূল ফটকে আসতেই তা আটকে দেয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। প্রায় আধা ঘণ্টা গাড়িতে অপেক্ষা করে নেমে আসেন খালেদা জিয়া। কিন্তু হেঁটেও তাঁকে এগোতে দেওয়া হয়নি। এ সময় তিনি পুলিশ সদস্যদের বকাঝকা করেন, সরকারের বিরুদ্ধেও নিজের ক্ষোভ ঝাড়েন। বাড়ির মূল ফটকের সামনে বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষার পর বিকেল চারটার দিকে বাড়ির ভেতরে আঙিনায় চলে যান তিনি। এরপর বন্ধ করে দেওয়া হয় মূল ফটক। বাড়ির আঙিনায় জাতীয় পতাকা হাতে কিছুক্ষণ বসেন খালেদা জিয়া। এ সময় তাঁর বাড়ির দেয়াল টপকে কয়েকজন সাংবাদিক ভেতরে প্রবেশ করেন। তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন বিরোধীদলীয় নেতা। সোয়া চারটার দিকে আবার বাসায় ঢুকে যান বিরোধীদলীয় নেতা। শনিবার রাত থেকেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাঁর বাড়িতে যাওয়ার পথ বালুভর্তি তিনটি ট্রাক ও পূর্ব পাশের গলিতে দুটি ট্রাক আড়াআড়িভাবে রেখে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে।সাংবাদিকদের সরে যেতে পুলিশের অনুরোধখালেদা জিয়ার বাসার সামনে থেকে সাংবাদিকদের সরে যেতে অনুরোধ করেছে পুলিশ। গুলশান জোনের উপকমিশনার লুত্ফুল কবির খালেদার বাসভবনের সামনে রাখা ট্রাকের ওপর থেকেও সংবাদকর্মীদের নেমে যাওয়ার অনুরোধ করেছেন। তিনি বলেন, বিরোধীদলীয় নেতা ও সংবাদকর্মী উভয়ের নিরাপত্তার স্বার্থে সাংবাদিকদের ট্রাকের ওপর থেকে নেমে যাওয়া উচিত। ট্রাকের ওপর দাঁড়িয়ে থাকলে সমস্যা কী, জানতে চাইলে তিনি বলেন, সব সমস্যা সবার সঙ্গে ‘শেয়ার’ করা যায় না।সাংবাদিকেরা পাল্টা অনুরোধ করেছেন, যেন পশ্চিম পাশে রাখা ট্রাকের ওপর থেকে তাঁদের নেমে যেতে অনুরোধ করা না হয়।গত শনিবার পর্যন্ত খালেদা জিয়ার বাসভবনের সামনে মূল ফটকের সামনে সাংবাদিকরা যেতে পারলেও গতকাল থেকে সেখানে তাঁদের দাঁড়াতে দেওয়া হচ্ছে না। এ কারণে গতকাল খালেদা জিয়ার বাসার সামনে রাখা বালুভর্তি ট্রাকের ওপর সাংবাদিকেরা অবস্থান নিয়েছিলেন। তাঁরা ওই ট্রাকের ওপর দিয়ে মই বেয়ে গতকাল সংবাদ সংগ্রহ করতে খালেদা জিয়ার বাসভবনের ভেতর প্রবেশ করেন।
আরাধ্য জয়ই বটে। এই মৌসুমে জয় যেন সোনার হরিণ হয়ে গেছে এসি মিলানের জন্য। তাই কাল রাতে সাম্পদোরিয়ার বিপক্ষে ১-০ গোলে জয়ে ফুটে উঠল উচ্ছ্বাসটা। মৌসুমে দ্বিতীয় জয়টি বেশ তাড়িয়েই উপভোগ করেছে ‘রোসোনেরি’রা। খেলার ৪৬ মিনিটে স্লোভেনিয়ান ভালটার বিরসার দেওয়া একমাত্র গোলটিই শেষাবধি জয়-পরাজয়ের নিয়ামক হয়েছে।গতকালের জয়ে সিরি ‘আ’র পয়েন্ট তালিকার অষ্টম স্থানে উঠে এসেছে মিলান। ম্যাচের প্রথম থেকেই সুস্পষ্ট প্রাধান্য ছিল মিলানের। ১৭ মিনিটে রবিনহোর ভাসিয়ে দেওয়া বলে কেভিন কনস্ট্যান্টের তীব্র ভলি সাম্পদোরিয়ার পোস্ট ঘেঁষে বেরিয়ে যায়। সাত মিনিট বাদে প্রায় ২৫ গজ দূর থেকে বিরসার বাঁকানো ফ্রি-কিক বারের ওপর দিয়ে চলে যায়। ২৬ মিনিটে অবশ্য মিলানের গোলে বল ঠেলার মোক্ষম সুযোগ এসেছিল সাম্পদোরিয়ার সামনে। কর্নার থেকে পাওয়া বলে আন্দ্রেয়া কস্তার হেড বারপোস্টে লেগে প্রতিহত হয়। ২৮ মিনিটে মনোলো গাব্বিয়াদিনি প্রায় ৩০ গজ দূর থেকে শট নিলে তা মিলানের ক্রসবারে হাওয়া লাগিয়ে বেরিয়ে যায়। প্রথমার্ধের একেবারে শেষ মিনিটে সুলে মুনতারির ভলি গোলে প্রবেশের মুখে সাম্পদোরিয়ার শোকদ্রান মুস্তাফির গায়ে লেগে দিক পরিবর্তন না করলে মিলান হয়তো এগিয়ে যেতে পারত তখনই। এরপর মুহূর্তেই বিরসার ফ্রি-কিক থেকে ফিলিপ্পে মেক্সেস পা লাগাতে ব্যর্থ হলে হতাশা নিয়েই বিরতিতে যেতে হয় আলেগ্রির ছেলেদের।দ্বিতীয়ার্ধেই শুরুতেই গোল পেয়ে যায় মিলান। রবিনহোর পাস সাম্পদোরিয়ার বক্সের ঠিক মাথায় পেয়ে বিরসা ঠান্ডা মাথায় পরাভূত করেন গোলরক্ষক অ্যাঙ্গেলো দা কস্তাকে। ৬৩ মিনিটে আলেসান্দ্রো মাত্রি মিলানকে ২-০ গোলে এগিয়ে দিতে পারতেন কিন্তু তাঁর দুর্বল শট সাম্পদোরিয়ার গোলরক্ষক দা কস্তার পায়ে লেগে প্রতিহত হয়। কিছুক্ষণ বাদে রবিনহোর আরও একটি প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দেন ওই দা কস্তাই। মুস্তাফি আরও একবার আলোচনায় আসেন মাত্রির শট গোলে প্রবেশের আগেই শরীর দিয়ে প্রতিহত করে। ৮০ মিনিটে খেলার সমতা ফেরানোর সুযোগ পেয়েছিল সাম্পদোরিয়া। কিন্তু গিয়ানলুকা স্যানসোনে সেই সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ হলে মৌসুমের দ্বিতীয় ‘তিন পয়েন্ট’ প্রায় নিশ্চিত হয়ে যায় মিলানের। খেলার শেষ মুহূর্তে মিলানের এমবায়ে নিয়াংয়ের শট দা কস্তা ফিরিয়ে দিলেও দলের পরাজয় এড়াতে কোনো ভূমিকা রাখতে পারেনি। সূত্র: রয়টার্স।দলীয় ৮৬ রানের মধ্যে ছয় উইকেট নেই। ১২৯ রানে পড়ল অষ্টম উইকেট। তখনো বাকি ১৫ ওভার, হাতে মাত্র দুটি উইকেট। মনে হচ্ছিল, দক্ষিণ আফ্রিকার গুটিয়ে যাওয়া শুধুই সময়ের ব্যাপার। হ্যাঁ, শেষ পর্যন্ত অলআউট হয়েছে প্রোটিয়ারা। তবে তা বেশ দেরিতে, ইনিংসের মাত্র এক বল বাকি থাকতে। টেনেটুনে দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৮৩ রান।প্রোটিয়া ব্যাটসম্যানদের দুর্দশার কারণ পাকিস্তানি বোলারদের স্পিন বিষ। ১০ উইকেটের মধ্যে সাতটিই নেন স্পিনাররা। সর্বোচ্চ চারটি উইকেট নেন অফ স্পিনার সাঈদ আজমল। লেগ স্পিনার শহীদ আফ্রিকার শিকার তিনটি উইকেট। এ ছাড়া পেসার সোহেল তানভীর দুটি ও মোহাম্মদ ইরফান একটি উইকেট নেন।দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহটা আহামরি কিছু নয়। ওয়ানডের হিসাবে এটা এককথায় ‘নগণ্য’। তবে এমন ব্যাটিং বিপর্যয়ের পরও যে শেষ পর্যন্ত স্কোরবোর্ডে ১৮৩ রান এসেছে, এটাই প্রোটিয়াদের জন্য স্বস্তির।স্বস্তিটা আসে নবম উইকেটে, পারনেল ও তোতসোবের প্রতিরোধে। ভয়াবহ বিপর্যয়ের মধ্যেও ৫২ রানের জুটি গড়েন তাঁরা। ম্যাচের সাত বল বাকি থাকতে জুটিটি ভাঙেন সাঈদ আজমল। দলীয় সর্বোচ্চ ৫৬ রান করেন পারনেল। তাঁর ৭০ বলের ইনিংসটিতে ছিল ছয়টি চার ও একটি ছয়ের মার। তোতসোবে অপরাজিত থাকেন ১৬ রান নিয়ে। পারনেল-তোতসোবের প্রতিরোধের আগে ৩৭ রানের ইনিংস খেলেন ডেভিড মিলার।সংক্ষিপ্ত স্কোর:দক্ষিণ আফ্রিকা ১৮৩/১০ (৪৯.৫ ওভার)পারনেল ৫৬, মিলার ৩৭ম, স্মিথ ২০, ডুমিনি ২০আজমল ৪/৩০, আফ্রিদি ৩/৩৭, তানভীর ২/৩৩টস: দক্ষিণ আফ্রিকাসূত্র: ক্রিকইনফোএকটি যাত্রীভর্তি চলন্ত বাসে নৃশংসভাবে আগুন ছুড়ে পোড়ানো হলো একসঙ্গে ১৯ জন মানুষকে। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর শাহবাগে শিশুপার্কের সামনে এ ঘটনা ঘটে। দগ্ধ ব্যক্তিদের মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নাহিদ মোড়ল (২২) নামের এক তরুণ রাত ১১টায় মারা গেছেন।বাসযাত্রী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছেন, বিহঙ্গ পরিবহনের বাসটি পুরান ঢাকার সদরঘাট থেকে মিরপুরে যাচ্ছিল। বাসটি শাহবাগে শিশুপার্কের সামনে পৌঁছলে বাইরে থেকে পেট্রলবোমা ছোড়া হয়। এতে বাসটিতে আগুন ধরে যায়। বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার এই মানুষগুলো কেউ দিন শেষে ঘরে ফিরছিলেন, কেউবা কাজে যাচ্ছিলেন।দগ্ধ ব্যক্তিদের সবাইকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। বার্ন ইউনিটের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক সামন্ত লাল সেন বলেন, তাঁদের ১০ থেকে ৫৯ শতাংশ পর্যন্ত পুড়ে গেছে। সবচেয়ে শঙ্কার কথা হচ্ছে, এঁদের বেশির ভাগেরই গলা ও শ্বাসনালি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রত্যেকেরই জীবন সংকটাপন্ন।বার্ন ইউনিট সূত্র জানায়, দগ্ধ ১৯ জনের মধ্যে মাত্র একজন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। ভর্তি ১৮ জন হলেন: চালক মো. মাহাবুব, সহকারী হাফিজুর, ছাত্র অহিদুর রহমান বাবু, পুলিশ কনস্টেবল নুরুন্নবী, রূপালী ব্যাংকের কর্মকর্তা মাসুমা, ফার্স্ট সিকিউরিটি ব্যাংকের শফিকুল ইসলাম, ইটিভির মুক্ত খবরের শিশু সাংবাদিক সুস্মিতা সেন, তার মা গীতা সেন, আইনজীবী খোদেজা নাসরীন, কাঁচামাল ব্যবসায়ী আমজাদ, সরকারি কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হোসেন মৃধা, গাড়িচালক আবদুর রাজ্জাক, আবু তালহা, রাহাদুল, রিয়াদ, রবিন, শামীম ও নাহিদ। তবে নাহিদ রাত ১১টার সময় বার্ন ইউনিটে মারা যান। তাঁর বাড়ি মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার মোড়লকান্দি গ্রামে। বাবার নাম সোহরাওয়ার্দী মোড়ল।নাহিদের ভাই রাসেল মোড়ল বিলাপ করে প্রথম আলোকে বলেন, নাহিদ সকালে বাবার সঙ্গে পেঁয়াজের খেতে কাজ করে। দুপুরে খাওয়ার পরে জ্যাকেট কেনার জন্য এক হাজার নয় শ টাকা নিয়ে ঢাকায় রওনা হয়। সন্ধ্যার পর নাহিদ ফোন করে জানায়, ‘আমি যে বাসে উঠেছি, তাতে আগুন ধরেছে। আমি মনে হয় আর বাঁচুম না।’ রাসেল জানান, এরপর তাঁরা তৎক্ষণাৎ ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেন।নাহিদ শিবচর উপজেলার কুতুবপুর উচ্চবিদ্যালয়ে নবম শ্রেণীতে পড়তেন। তবে পড়াশোনায় কিছুটা অনিয়মিত ছিল বলে তাঁকে মালয়েশিয়ায় পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই প্রস্তুতিও নেওয়া হচ্ছিল।মুখমণ্ডলসহ শরীরের ঊর্ধ্বাংশে দগ্ধ হয়েছেন আবদুর রাজ্জাক। পর্যবেক্ষণ ওয়ার্ডে একজন চিকিৎসকের মাধ্যমে তাঁর সঙ্গে কথা হয়। আবদুর রাজ্জাক বলেন, তিনিও বিহঙ্গ পরিবহনের অন্য বাসের চালক। সদরঘাট থেকে মিরপুরে যাওয়ার জন্য ওই বাসে উঠেছিলেন। বসে ছিলেন সর্বশেষ আসনের দুই সারি আগে, ডান দিকে। বাসটির আসন পূর্ণ ছিল। বেশ কয়েকজন দাঁড়িয়েও ছিলেন। ফাঁকা রাস্তায় অন্য দিনের চেয়ে বেশ দ্রুত গতিতে চলছিল বাসটি। এই পথের প্রতি বাঁক চেনা এই চালক বলেন, ‘ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের লগে লাগানো ওভারব্রিজ পার হওয়ার পরে রাস্তার ডান দিকে সম্ভবত কেউ পেট্রলবোমাটা ছুড়ে মারল। মুহূর্তেই দাউ দাউ আগুন। আমার শার্টে আগুন লাইগা গেল। আমি শার্ট ছিঁড়া ফালায়া জানালা দিয়া লাফ দিলাম।’বাসের আরেক যাত্রী মো. মাসুদের সঙ্গে কথা হয় ঘটনাস্থলেই। তিনি বসে ছিলেন বাসের বাঁ পাশে মাঝামাঝি আসনে। তিনিও রাজ্জাকের মতো প্রায় একই বর্ণনা দেন।শিশু সাংবাদিক সুস্মিতা বলে, বাসের দরজার সামনের আসনে বসে ছিল সুস্মিতা ও তার মা গীতা। শিশুপার্কের কাছাকাছি যাওয়ার পরেই হঠাৎ আগুন। এরপর সে আর কিছু বলতে পারে না। সুস্মিতার দুই হাত আর তার মায়ের দুই হাতসহ শরীরের ঊর্ধ্বাংশের অনেকখানি পুড়ে গেছে। তাঁতীবাজারের বাসা থেকে মায়ের সঙ্গে কর্মস্থল ইটিভিতে যাচ্ছিল সুস্মিতা।ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী শিশুপার্কের সামনের ভাসমান ব্যবসায়ী আরিফুর রহমান বলেন, ‘মনে হয় ডিভাইডারের উপ্রে থিকা বা রাস্তার ওই পার থিকা কেউ বোমাটা মাইরা ভাগছে। ভেতর থিকা লোকজন চিক্কুর পাড়তাছিল। চিক্কুর শুইনা তাকাইয়া দেহি, আগুন জ্বলতে জ্বলতে বাসটা ডিভাইডারের উপ্রে উইঠা গেল। এর মইদ্দেই লুকজন জানলা-দরজা দিয়া সুমানে লাফাইয়া পড়তাছে।’ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায় একটি সড়কবাতির খুঁটি, কিছু বিজ্ঞাপনী ছোট বিলবোর্ড আর একটি ছোট গাছ গুঁড়িয়ে বাসটি রাস্তার মাঝের সড়ক বিভাজকের ওপরে উঠে গেছে। তখনো বাসের হেডলাইট আর ভেতরের বাতিগুলো জ্বলছিল। বাসের সামনের কাচ (উইন্ডস্ক্রিন) ভাঙা। বাসের ভেতরের ছাদ কালো হয়ে গেছে। ভেতরের ছাদের অংশে লাগানো কাপড়ের আবরণ পুরোটাই পুড়ে গেছে। চালকের আসনসহ ডান পাশের কয়েকটি আসনের ওপরের অংশ সামান্য পুড়েছে বা কালো হয়ে রয়েছে। বাঁ পাশের আসনগুলো অক্ষতই রয়েছে। ভেতরের মেঝেতে কয়েকটি স্যান্ডেল ও আসনের গদি পড়ে আছে।ঘটনাস্থলে যাওয়া পুলিশের একজন কর্মকর্তা বাসটি দেখে বলেন, বাসটি যাত্রীভর্তি ছিল। তাই মনে হয় পেট্রলবোমাটি ছুড়ে মারার পরে ভেতরে থাকা লোকজনের গায়ে আর ছাদে পেট্রল ছড়িয়ে আগুন বিস্তার লাভ করে। এ কারণে বেশির ভাগ মানুষের মাথা, মুখমণ্ডল, গলাসহ শরীরের ঊর্ধ্বাংশ পুড়েছে। আর বাসের আসন বা ভেতরের অন্যান্য অংশের তেমন কোনো ক্ষতিই হয়নি। এমনকি ফায়ার সার্ভিস আসার আগেই নিভে গেছে আগুন। ঘটনার পরপরই আহত ব্যক্তিদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়।ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্মরত পুলিশ সদস্য এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা জানান, সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার আগে প্রথমে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় একজন রোগীকে নিয়ে আসেন স্থানীয় লোকজন। দগ্ধ লোকটির চিৎকার আর সিএনজির ভেতরে থাকা অন্য লোকজনের তাড়াহুড়ায় পুলিশ ও সংবাদকর্মীরা ভিড় করেন। সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক জানান, বাসে আগুন দিয়েছে। অনেক লোক দগ্ধ হয়েছেন। দগ্ধ লোকটির তথ্য নিতে না-নিতেই একের পর এক দগ্ধ ব্যক্তি বার্ন ইউনিটের দিকে আসতে শুরু করেন। বার্ন ইউনিটের জরুরি বিভাগে থাকা চিকিৎসক ও কর্মীরাও কিছু সময়ের জন্য অপ্রস্তুত হয়ে পড়েন। আহত ব্যক্তিদের চিৎকার, তাঁদের সাহায্য করতে আসা মানুষগুলোর হাঁকডাক, চিকিৎসক ও হাসপাতালের কর্মীদের তৎপরতা—সব মিলিয়ে মুহূর্তের মধ্যে এক বিভীষিকাময় পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে কিছুক্ষণের মধ্যেই সেখানে ভিড় জমান বিভিন্ন গণমাধ্যমের কর্মীরা। সাংবাদিকদের কেউ কেউ জরুরি বিভাগের কক্ষে ঢুকে পড়েন। চিকিৎসকেরা কর্তব্যরত আনসারদের সাহায্যে তাঁদের কক্ষ থেকে বের করে দেন। জরুরি বিভাগের চিকিৎসকেরা দ্রুত প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রোগীদের অবস্থা অনুযায়ী নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রসহ হাসপাতালের দোতলা থেকে চারতলার বিভিন্ন ইউনিটে পাঠিয়ে দেন। এ সময় সাংবাদিকেরাও ওপরে উঠতে চাইলে আনসারদের সঙ্গে তাঁদের বাগিবতণ্ডা হয়।রাত ১১টায় বার্ন ইউনিটে গিয়ে দেখা যায়, দগ্ধ ব্যক্তিদের নাকে-মুখে অক্সিজেনের নল লাগানো। কর্তব্যরত সহকারী রেজিস্ট্রার হোসাইন মামুন বলেন, তাঁদের প্রায় সবারই শ্বাসনালি পুড়ে গেছে। এই অবস্থায় কেউই আশঙ্কামুক্ত নন।এর আগে ২০০৪ সালে তৎকালীন শেরাটন হোটেলের (রূপসী বাংলা) উল্টো দিকে বিআরটিসির একটি দোতলা বাসে আগুন দিয়ে ১১ জনকে পুড়িয়ে মারা হয়। তখন ক্ষমতায় ছিল বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় সরকার। ওই দিন হরতাল ডেকেছিল তৎকালীন বিরোধী দল আওয়ামী লীগ।ফখরুলের দাবি— আ.লীগ শাহবাগে বাসে আগুন দিয়েছে:বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দাবি করেছেন, ১৮-দলীয় জোটের অবরোধ চলাকালে সারা দেশের সরকারের বিভিন্ন বাহিনী ও আওয়ামী লীগের সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা তাণ্ডব চালিয়ে যাচ্ছে। এরাই শাহবাগে বাসে আগুন দিয়ে নিরীহ যাত্রীদের আহত করেছে। গতকাল রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ দাবি করেন।বিএনপির মুখপাত্র অভিযোগ করেন, তাঁদের ন্যায়সংগত শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে সরকার পুলিশ-র‌্যাব-বিজিবি ও সন্ত্রাসীদের দিয়ে নেতা-কর্মীদের হত্যা করছে। অন্যদিকে নিজেদের এজেন্টদের দিয়ে যানবাহনে নাশকতা চালাচ্ছে। তিনি অবিলম্বে বাসে অগ্নিসংযোগকারীদের গ্রেপ্তার ও তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।ফখরুল দাবি করেন, শাহবাগের এ ঘটনা আওয়ামী লীগ কর্তৃক হোটেল শেরাটনের সামনে বাসে গানপাউডার ছিটিয়ে মানুষ হত্যার ঘটনারই পুনরাবৃত্তি। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঘটিয়ে নিজেদের এজেন্ডা বাস্তবায়নে বিরোধী দলের ওপর দায়ভার চাপানো আওয়ামী লীগের সংস্কৃতি এবং অভ্যাস।রাজধানীর মোহাম্মদপুরে রাজিয়া সুলতানা রোডের একটি বাসা থেকে  গতকাল রোববার গভীর রাতে ১৩৪টি ককটেল ও গানপাউডার উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় তিনজনকে আটক করা হয়।আটক হওয়া ব্যক্তিরা হলেন এরশাদুজ্জামান জুয়েল (৩৮), সিরাজুল ইসলাম (৪০) ও নান্নু (৪২)। তাঁদের কাছ থেকে জামায়াত-শিবিরের ব্যানার, ফেস্টুন, পতাকা ও সংগঠনের বিভিন্ন ধরনের বই উদ্ধার করা হয়েছে।ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার প্রথম আলোকে জানান, গত শুক্রবার মধ্যরাতে যৌথবাহিনীর অভিযানের সময় সাজিদ নামে শিবিরের একজন কর্মী গ্রেপ্তার হন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সাজিদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ককটেল বা বোমা তৈরির কয়েকটি কারখানার সন্ধান পায় পুলিশ। এরই অংশ হিসেবে গতকাল দিবাগত রাত ১২টার দিকে ওয়াই/টুয়েন্টি ফাউভ, রাজিয়া সুলতানা রোডের একটি মেসে অভিযান চালিয়ে এ তিনজনকে আটক করা হয়।উপকমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, আটক হওয়া ব্যক্তিরা জামায়াত-শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। মেসটি ভাড়া নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে তাঁরা এখানে বোমা বা ককটেল বানিয়ে আসছিলেন। তাঁদের কাছ থেকে যে পরিমাণ গান পাউডার উদ্ধার হয়েছে, তা দিয়ে অন্তত ৬০টি বোমা বানানো সম্ভব। মেসটিতে অন্যান্য সময় আটজন থাকলেও গতকাল তিনজনকে হাতেনাতে আটক করা হয়। অন্যদের আটক করার চেষ্টা চলছে।আটক হওয়া ব্যক্তিদের নিয়ে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালানো হচ্ছে বলে দাবি করেছেন মোহাম্মদপুর থানার কর্তব্যরত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) নয়ন মিয়া।
২৭ সেপ্টেম্বর ১৫ বছর পূর্তি উদযাপন করল অনুসন্ধান সেবাদাতা গুগল। এই ১৫ বছরে মানুষের জীবনে বিশাল প্রভাব ফেলেছে গুগল নামের এ প্রতিষ্ঠানটি।‘ব্যাকরাব’ নামটি অপরিচিত হলেও এটিই ছিল গুগলের আগের নাম। শুরুতে দিনে যেখানে মাত্র ১০ হাজার সার্চ হতো গুগলে, সেখানে এখন দিনে কোটি কোটি সার্চ হয়। ১৯৯৮ সাল। তখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ছিলেন বিল ক্লিনটন। আর চারদিকে চলছিল ‘টাইটানিক’ ঝড়। ছবিটি ১১টি বিভাগে অস্কার পাওয়া নিয়ে তোলপাড় চলছিল যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। ঠিক সেসময়েই ক্যালিফোর্নিয়ার মেনলো পার্ক শহরের মামুলি এক গ্যারেজে যাত্রা শুরু করেছিল ছোট্ট একটি ওয়েব সার্চ কোম্পানি গুগল। হাঁটি-হাঁটি পা পা করে বিশ্বের অন্যতম বৃহত্ ওয়েব সার্চ কোম্পানি হিসেবে আজ প্রতিষ্ঠিত গুগল। ২৭ সেপ্টেম্বর ঘটা করে উদ্যাপিত হল প্রতিষ্ঠানটির ১৫ বছর পূর্তি অনুষ্ঠান।কবে গুগলের শুরু তা নিয়ে নানা তথ্য পাওয়া যায়। গুগলডটকম নামে প্রতিষ্ঠানটির নিবন্ধন করা হয়েছিল ১৯৯৭ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর। তবে কোম্পানি হিসেবে প্রতিষ্ঠানটির যাত্রা শুরু হয়েছিল ১৯৯৮ সালের ৭ সেপ্টেম্বর। কিন্তু গুগলের দাবি, প্রতিষ্ঠানটির আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়েছিল ১৯৯৮ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর। এ হিসেবে ২৭ সেপ্টেম্বর শুক্রবার ১৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করেছে গুগল। এদিন গুগলের হোমপেজে একটি ডুডল প্রদর্শন করেছিল গুগল কর্তৃপক্ষ। এক খবরে এ তথ্য জানিয়েছে এবিসি নিউজ।১৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে গুগলের অনুসন্ধান সহজ করতে ‘হামিংবার্ড’ নামে নতুন একটি সার্চ অ্যালগরিদম যুক্ত করেছে গুগল। এর ফলে গুগল সার্চে সহজে অনুসন্ধান করা  এবং প্রাসঙ্গিক ফলাফল দেখা যাবে। এ প্রসঙ্গে গুগলের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট অমিত সিংহল জানিয়েছেন, ‘গুগলকে কঠিন সব প্রশ্ন করুন, মুহূর্তেই সেসব প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন। সত্যি বলতে কি, নতুন করে যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছি আমরা।’১৫ বছর পূর্তিতে গুগল নিয়ে ১৫ তথ্য১. মাঝে মাঝে ছাগল নিয়োগ করে গুগল! বিষয়টা শুনতে অদ্ভুত মনে হলেও সত্যি। ২০০৯ সালে এক সপ্তাহের জন্য ২০০ ছাগল ভাড়া নিয়েছিল গুগল। এ ছাগলগুলোর কাজ ছিল যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় অবস্থিত গুগল কার্যালয়ের ঘাস খাওয়া এবং জমির উর্বরতা বাড়ানো। ২. ১৯৯৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে গুগল প্রথম একজনকে নিয়োগ দিয়েছিল। ২০০৪ সালে গুগলে কর্মী সংখ্যা দাঁড়িয়েছিল এক হাজার ৯০৭ জন। বর্তমানে গুগলে ৪৪ হাজার ৭৭৭ জন কর্মী কাজ করেন।৩. ১৯৯৮ সালে শুরুর সময় ২৬ মিলিয়ন ওয়েবপেজ গুগলে ইনডেক্স ছিল। বর্তমানে ইনডেক্স করা ওয়েবপেজ ৬০ ট্রিলিয়নের বেশি।৪. ১৯৯৮ সালে দিনে ১০ হাজার সার্চ কোয়ারির জবাব দিতে পারতো গুগল। এখন প্রতি মাসে ১০০ বিলিয়নের বেশি সার্চ কোয়ারির জবাব দেয় গুগল।৫. গুগল প্রথম টুইট করেছিল বাইনারি কোড দিয়ে।৬. গুগলের আসল নাম ছিল ‘ব্যাকরাব’।৭. ২০১০ সাল থেকে প্রতি সপ্তাহে গড়ে একটি করে প্রতিষ্ঠানকে আত্তীকরণ করেছে গুগল।৮. ৫০টিরও বেশি ভাষায় জিমেইল ব্যবহারের সুযোগ দেয় গুগল।৯. ২০০৪ সালে পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করার পর গুগলের এক হাজারেরও বেশি কর্মী  কোটিপতি বনে যান।১০. গুগলের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ল্যারি পেজ ও সের্গেই ব্রিন বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির মাত্র ১৬ শতাংশের মালিক।১১. গুগলের নতুন কর্মীদের পরিচয় দাঁড়ায় ‘নুগলার’ অর্থাত্ ইংরেজি শব্দ নিউ ও গুগলার এর মিশ্রণ এবং সাবেক কর্মীদের পরিচয় দাঁড়ায় ‘জুগলার’।১২. ১৯৯৮ সালে গুগল ডুডল প্রদর্শন শুরুর পর এখন পর্যন্ত এক হাজারের বেশি ডুডল তৈরি করেছে প্রতিষ্ঠানটি।১৩. ২০০৫ সালে অ্যান্ড্রয়েডের মালিকানা কেনে গুগল। এখন পর্যন্ত ১০০ কোটি অ্যান্ড্রয়েডনির্ভর পণ্য সক্রিয় রয়েছে এবং ৫০ প্লে স্টোর থেকে বিলিয়ন অ্যাপ ডাউনলোড হয়েছে।১৪. ভাষান্তরকারীদের একটি বড় নেটওয়ার্ক রয়েছে গুগলে।১৫. গুগল নামটি ভুল করে এসেছিল। প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা এর নাম দিতে চেয়েছিলেন ‘গোগোল’। কিন্তু বানান ভুল করে ফেলায় এর নাম দাঁড়িয়েছে গুগল।গুগলের করপোরেট সংস্কৃতি নিয়ে জানার লিংক মুসলিম ব্রাদারহুডের অন্যতম শীর্ষ নেতা আসাম মুহাম্মদ হুসেইন আল-আরিয়ানকে আজ বুধবার গ্রেপ্তার করেছে মিসরীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থা।গত জুলাই মাসে সেনা অভ্যুত্থানে প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ মুরসি ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর আল-আরিয়ানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন কৌঁসুলিরা।মিসরের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা মিনা জানায়, আগামী সপ্তাহে মুরসি ও তাঁর সহযোগীদের সঙ্গে আল-আরিয়ানের বিচার শুরু হবে।আল-আরিয়ান ব্রাদারহুডের রাজনৈতিক শাখা ফ্রিডম অ্যান্ড জাস্টিস পার্টির সহসভাপতি হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন।মুসলিম ব্রাদারহুডের এক মুখপাত্র বিবিসিকে জানান, আজ কায়রো থেকে গ্রেপ্তার করার পর আরিয়ানকে গোপন জায়গাতে নিয়ে যাওয়া হয়।আরিয়ানকে গ্রেপ্তারের পর দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তার ওয়েবসাইটে এ ইসলামপন্থী নেতার হাস্যোজ্জ্বল ছবি প্রকাশ করেছে। ওয়েবসাইটে বলা হয়, গ্রেপ্তারের সময় আরিয়ান বলেন, ‘ভাগ্যে থাকলে ঠেকানো যায় না। অভ্যুত্থান শেষে মুক্তি পাবই।’সরে দাঁড়িয়েছেন বিচারকেরাআসছে ৪ নভেম্বরে মুরসির বিচার শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে ২০১২ সালের ডিসেম্বরে প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের বাইরে হত্যা ও সংঘাতে উসকানি দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে গত সোমবার মুরসি তাঁর বিচারে গঠিত আদালতের কর্তৃত্বকে অস্বীকার করেছেন।কায়রোতে মুসলিম ব্রাদারহুডের বিক্ষোভের একজন প্রথম সারির নেতা ছিলেন মোহাম্মদ বাদি। কিন্তু বিক্ষোভ দমনে সেনা-সমর্থিত অন্তর্বর্তী সরকার দমন-পীড়ন শুরু করলে বাদি ফেরার হয়ে যান। গত আগস্টে তাঁকে আটক করা হয়।ব্রাদারহুডের উপদেষ্টা মোহাম্মদ বাদি ও তাঁর সহকারী মুহাম্মদ খাইরাত সাদ আল-শাতারের বিচারের জন্য গঠিত একটি বেঞ্চের তিনজন বিচারক গতকাল মঙ্গলবার পদত্যাগ করেছেন। এ সম্পর্কে বিচারক মুহাম্মদ ফাহমি আল-কারমুতি বলেন, তাঁরা ‘বিবেকের তাড়নায়’ সরে দাঁড়িয়েছেন।বাদি ও আল-শাতারের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে, তাঁরা গত ৩০ জুনে ব্রাদারহুডের কার্যালয়ের বাইরে সংগঠনটির বিরোধী প্রতিবাদীদের হত্যা ও সংঘাতে উসকানি দিয়েছেন।চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় মাকে নিয়ে রিকশাভ্যানে চড়ে বাড়ি ফিরছিলেন আসবাবের দোকানের তরুণ কর্মচারী মোহাম্মদ সাহেদ। অবরোধকারীরা ককটেল ছুড়ে মারলে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হলে মারা যান সাহেদ। অবরোধের দ্বিতীয় দিন বুধবার রাতের ঘটনা এটি।অবরোধের প্রথম দিন কুমিল্লার লাকসামে ওষুধ নিয়ে ফেরার পথে মারা যান রিকশাচালক বাবুল মিয়া। আর গতকাল রাজধানীর শাহবাগে বাসে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দগ্ধ করা হয় ১৯ যাত্রীকে।বিরোধী দলের তিন দিনের অবরোধ কর্মসূচিতে যে ২০ জন মারা গেছেন, তাঁদের মধ্যে ১৪ জনই সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ। অবরোধ চলাকালে জীবিকার তাগিদে তাঁরা বের হয়েছিলেন। অন্য পাঁচজনের মধ্যে তিনজন আওয়ামী লীগের, একজন বিএনপির ও একজন জামায়াতের কর্মী। অবরোধের প্রথম দুই দিনেই মারা যান ১৮ জন, দুই জন মারা যান গতকাল।সারা দেশে রাজনৈতিক সহিংসতায় ১১ মাসে এ নিয়ে প্রাণ হারালেন ৩৪৭ জন। এর মধ্যে শুধু হরতাল এবং অবরোধ কর্মসূচিতেই মারা গেছেন ১৯৬ জন। ২৬ অক্টোবর থেকে গতকাল পর্যন্ত এক মাসে মারা গেছেন ৫৮ জন। হরতালের আগুন, পেট্রলবোমা ও ককটেল বিস্ফোরণে ১৫ শিশুসহ ১০৯ জন আহত হয়েছেন। হতাহতদের বেশির ভাগই সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ। আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) এবং পুলিশের কাছ থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।সাম্প্রতিক রাজনৈতিক হানাহানিতে সাধারণ মানুষ কেন লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে? এ প্রশ্ন সবার। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান এ বিষয়ে প্রথম আলোকে বলেন, ‘রাজনীতি এখন কোনো ব্যক্তি বা দলের ক্ষমতায় আরোহণের সিঁড়ি হয়ে গেছে। আমরা দেখছি রাজনৈতিক সহিংসতায় সাধারণ মানুষ বারবার প্রাণ দিচ্ছেন। এটা মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। কোনো সভ্য সমাজে এটি চলতে পারে না। রাজনৈতিক এ সহিংসতা বন্ধ করতেই হবে।’মিজানুর রহমান আরও বলেন, ‘রাজনীতি মানুষের কল্যাণের জন্য। কিন্তু যে রাজনীতি মানুষের নিরাপত্তা দিতে পারে না, উল্টো মানুষের প্রাণহানি ঘটায়, সে রাজনীতির বিরুদ্ধে আমাদের সবার সরব হতে হবে।’প্রথম আলোর অনুসন্ধানে দেখা যায়, ১৯৯১ সালের পর আড়াই হাজারের বেশি মানুষ রাজনৈতিক সহিংসতায় প্রাণ হারিয়েছেন। এঁদের একটি বড় অংশই সাধারণ মানুষ।অবরোধের দ্বিতীয় দিনে নিহত চট্টগ্রামের পটিয়ার ফকিরনিরহাট এলাকার এরশাদ আলী (২৬) টেম্পোচালক ছিলেন। এরশাদ আলীর ভাগনে তৈয়ব আলী জানান, গাড়ি নিয়ে বের না হলে খাবার জোটে না। তাই বুধবার সকালে টেম্পো নিয়ে বের হন তাঁর মামা। কিন্তু ফেরেন লাশ হয়ে। এর আগে অবরোধের প্রথম দিনে ফেনীতে নিহত দুলাল মিয়া ছিলেন অটোরিকশাচালক। অবরোধকারীদের ককটেল বিস্ফোরণে তিনি মারা যান। অবরোধে ঢাকার রামপুরায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে লেগুনাচালক মোহাম্মদ মোজাম্মেল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাপাতালের বার্ন ইউনিটে মারা যান। মোজাম্মেলের ফুফু সাজেদা বলেন, ‘এবার রাজনীতিবিদদের কন, তারা যেন আমাদের সবার গায়ে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়।’২৬ অক্টোবর রাতে মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধে বাসে দেওয়া আগুনে ঝলসে যায় পোশাককর্মী নাসিমার শরীর। বার্ন ইউনিটে ১৪ নভেম্বর মারা যান তিনি। নাসিমার মা জহুরা খাতুন কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ‘মোগো গরিবগো মাইররা যারা রাজনীতি করে, ও আল্লাহ তুই তাগো বিচার করিস।’হরতালের আগের দিন ৩ নভেম্বর রাতে সাভার সেনানিবাস এলাকায় যাত্রীবাহী অটোরিকশায় পেট্রলবোমা ছুড়লে অগ্নিদগ্ধ হন চালক আসাদুল গাজী, সাধারণ যাত্রী মোস্তাফিজুর রহমান ও হাসু আহমেদ। ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটে আনার পর ওই রাতেই মারা যান মোস্তাফিজুর। তাঁর স্ত্রী বিনা বলেন, ‘ভবিষ্যতের জন্য কোনো সঞ্চয় ছিল না। এখন দুই সন্তান নিয়ে তিনি কী করবেন জানেন না।১৫ নভেম্বর বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আসাদুল গাজী। স্ত্রী মর্জিনা বলেন, ‘দুই সন্তানরে মানুষ করমু এখন কীভাবে?’ ১৫ নভেম্বর সকালে বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আরেকজন অগ্নিদগ্ধ সোনার দোকানের কারিগর মন্টু পাল। ১০ নভেম্বর সূত্রাপুর থানার লক্ষ্মীবাজারে লেগুনায় পেট্রলবোমায় ঝলসে গিয়েছিল মন্টুসহ পাঁচজনের শরীর।হরতালের দিন ৪ নভেম্বর গাজীপুর চান্দনা চৌরাস্তায় রমজান আলীর ভ্যানে আগুন দেওয়া হয়। অগ্নিদগ্ধ হয় ঘুমন্ত ছেলে মনির হোসেন। ৭ নভেম্বর ভোর চারটায় ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে মারা যায় সে।তিন দিনের অবরোধের প্রথম দিনেই কুমিল্লার লাকসামে প্রাণ হারান রিকশাচালক বাবুল মিয়া। রাস্তা থেকে তাঁর লাশ নেওয়ার সময় আরেক রিকশাচালক আবদুল হক কাঁদছিলেন। তাঁর উক্তি, ‘রাজনীতি নিরীহ মানুষটার জীবন কাড়ি নিল। এই রাজনীতিরে থুতু দেই।’বিএনপি বর্তমানে তত্ত্বাবধায়ক বা নির্দলীয় সরকারের দাবিতে আন্দোলন করছে। এ আন্দোলনকে কেন্দ্র করে হতাহতের ঘটনা ঘটছে। এর আগে ১৯৯৪ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলন করে। ১৯৯৬ সালের ৭ জানুয়ারি থেকে ৩০ মার্চ পর্যন্ত সময়ে ২১ দিন হরতাল করেছে আওয়ামী লীগ। ১৯৯৬ সালে বিএনপি একতরফা নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিলে আওয়ামী লীগ প্রথমে সেই নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করে। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর ৮ ও ৯ জানুয়ারি আওয়ামী লীগ ৪৮ ঘণ্টার হরতাল ডাকলেও তা উপেক্ষা করেই মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার কাজ শেষ করে বিএনপি। এরপর ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে সারা দেশে ৪৮ ঘণ্টার হরতাল ও নির্বাচন প্রতিহতের ঘোষণা দেয় আওয়ামী লীগ। তার পরও নির্বাচন করে বিএনপি। এরপর ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয় তিন দিনের অসহযোগ। এরপর ৯ মার্চ থেকে বিএনপি সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত লাগাতার অসহযোগ আন্দোলন শুরু করে আওয়ামী লীগ। টানা ১৭ দিন পর ১৯৯৬ সালের ২৬ মার্চ খালেদা জিয়া সংসদে নির্দলীয় সরকারের বিল পাসের পর অসহযোগ আন্দোলন শেষ হয়। টানা এ আন্দোলন চললেও ১৯৯৬ সালে রাজনৈতিক সহিংসতা এত ভয়াবহ ছিল না। ওই এক বছরে রাজনৈতিক সহিংসতায় মারা যান ৪৯ জন। প্রেস ইনস্টিটিউট ও ওই সময়ের সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।২০০১ সালের নির্বাচনের আগে কোনো দাবিদাওয়া নিয়ে আন্দোলন হয়নি। তবে ২০০৬ সালে নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ সাবেক প্রধান বিচারপতি কে এম হাসানকে প্রত্যাখ্যান এবং নির্বাচন কমিশনের পুনর্গঠনের দাবিতে আন্দোলন করে। ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর বিএনপি সরকারের শেষ দিনে ঢাকায় সহিংসতায় ১১ জন প্রাণ হারান। একপর্যায়ে রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ নিজেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হন। এরপর দেশে জরুরি অবস্থা জারি হয়। নির্বাচন হয় ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে। এ সময় কোনো সহিংসতার ঘটনা ঘটেনি। কিন্তু ২০১৪ এর নির্বাচনের আগে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক সহিংসতা ভয়াবহ রূপ নিয়েছে।জানতে চাইলে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এম হাফিজউদ্দিন খান প্রথম আলোকে বলেন, রাজনৈতিক সহিংসতায় যাঁরা মারা যান, তাঁদের বেশির ভাগই সাধারণ মানুষ। রাজনৈতিক দলগুলোর ক্ষমতায় যাওয়ার কিংবা ক্ষমতা টিকিয়ে থাকার রাজনীতির কারণে সাধারণ মানুষকে প্রাণ দিতে হয়। যে পরিবারগুলো স্বজন হারায়, তারাই জানে এর কষ্ট। এর দায়দায়িত্ব রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর বর্তায়।বিক্রির পরিকল্পনা থেকে সরে এসে এবার নতুন করে ব্যাটারি ব্যবসায় মনোযোগ দিতে যাচ্ছে জাপানের প্রযুক্তিপণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সনি।মোবাইল ফোন ও কম্পিউটারে জন্য ব্যাটারির চাহিদা নতুন করে বাড়তে থাকায় ব্যাটারি ব্যবসায় জোর দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে সনি। এর আগে বেশ কয়েক বছর ধরে ব্যাটারি ব্যবসায় ধুঁকছিল প্রতিষ্ঠানটি। এ বছর ব্যাটারি ইউনিটটি বিক্রি করে দেওয়ারও পরিকল্পনা ছিল সনির। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।এদিকে, বাজারবিশ্লেষকেরা জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরেই লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি তৈরি করে আসছে সনি। কিন্তু গত কয়েক বছরে দক্ষিণ কোরিয়ার নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো কম দামের ব্যাটারি তৈরি করায় ক্রমশ ক্ষতির মুখে পড়েছিল সনি। তাই ব্যাটারি ইউনিটটি বিক্রি করারই পরিকল্পনা করেছিল তারা। তবে এ বছর সনির নতুন কয়েকটি পণ্যের বাজার বাড়তে থাকায় আপাতত ব্যাটারি ইউনিট বিক্রির পরিকল্পনা থেকে সরে এসে এ ব্যবসাটিতে আরও বিস্তৃত করার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।সনি সম্প্রতি তাদের রাসায়নিক ইউনিটটি বিক্রি করে দিয়ে কনজুমার ইলেকট্রনিক পণ্যের ব্যবসার দিকে বেশি ঝুঁকে পড়েছে। স্মার্টফোন, ক্যামেরা প্রভৃতি পণ্য এখন সনিকে টিকিয়ে রেখেছে।
পুরান ঢাকার মিটফোর্ড এলাকার নয়টি মার্কেটে ভেজাল ও মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রির অভিযোগে কয়েকজন ব্যবসায়ীকে জেল-জরিমানা করার প্রতিবাদে আজ রোববার ওষুধ ব্যবসায়ীরা দোকান বন্ধ রেখে বিক্ষোভ করছেন। ফলে ওই এলাকায় থাকা মিটফোর্ড হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে আসা রোগীদের লোকজন ওষুধ কিনতে পারছেন না।বাংলাদেশ কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতির সহকারী সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন বলেন, ব্যবসায়ীরা নিজ উদ্যোগে এ বিক্ষোভ করছেন। এখন পর্যন্ত সমিতির পক্ষ থেকে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।গতকাল শনিবার সকাল ১০টার দিকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শরীফ মোহাম্মদ ফরহাদ হোসেনের নেতৃত্বে র্যাব মিটফোর্ড এলাকায় ভান্ডারি মার্কেট, খান মার্কেট, আমিন মার্কেট, আমির মার্কেট, আলিফ লাম মীম মার্কেট, নায়লা মার্কেট, নুরপুরী মার্কেট, বিসিবিএস ও আলী মার্কেটে অভিযান চালায়। এতে অংশ নেন ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল জাহাঙ্গীর হোসেন মল্লিক ও র্যাব-১০-এর পরিচালক লে. কর্নেল ইমরান ইবনে এ রউফ এবং বিএসটিআইয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। অভিযান চলাকালে ওষুধ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে হাতাহাতির ঘটনায় র্যাবের একজন সদস্য আহত হন।অভিযানে প্রচুর পরিমাণে মেয়াদোত্তীর্ণ, ভেজাল, অবৈধ ও নিম্নমানের ওষুধ, নানা রকম সম্পূরক খাদ্য, ব্যথানাশক ওষুধ পাওয়া যায়। এসব ওষুধ সংরক্ষণ-প্রক্রিয়া ও বিক্রিতে জড়িত থাকার অভিযোগে ১০৩ জন ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ২০ জনকে এক বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয় এবং বাকি ৮৩ জনকে প্রায় সোয়া কোটি টাকা জরিমানা করা হয়।এসব ঘটনায় মোট ৮০টি মামলা এবং বিভিন্ন মার্কেটের ২৮টি ওষুধের দোকান ও গুদাম সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে।মিটফোর্ডে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রি১০৩ ব্যবসায়ীর জেল জরিমানা, ২৮ দোকান সিল, ৮০টি মামলাবাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন বিরোধী দল বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।আজ বুধবার রাতে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে ওই বৈঠক শুরু হয়েছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বৈঠক চলছে বলে জানা গেছে। এর আগে গতকাল মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সরকারি বাসভবন গণভবনে সিপিবি ও বাসদের মতবিনিময় সভা হয়। সেখানে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখার দল দুটির প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মাঠপর্যায়ের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে শঙ্কিত নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ অবস্থায় তারা আগেভাগে সেনাবাহিনী মোতায়েন করতে চায়।গতকাল বৃহস্পতিবার নির্বাচনকালীন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবিষয়ক বৈঠকে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের কাছে এমনই প্রস্তাব দিয়েছে ইসি। বৈঠকে উপস্থিত সূত্র জানায়, ইসির প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে সশস্ত্র বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ১ ডিসেম্বর থেকে সেনাবাহিনীর শীতকালীন মহড়া শুরু হবে। ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে এ মহড়া শেষ হবে। এরপর মাঠপর্যায়ে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা যাবে।তবে কমিশন কবে থেকে সেনাবাহিনী চায়, সে বিষয়ে তারা সুনির্দিষ্ট করে কিছু বলেনি। সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ থেকে কমিশনকে সুনির্দিষ্ট তারিখ জানানোর অনুরোধ করা হয়েছে।কমিশন সচিবালয় সূত্র জানায়, সশস্ত্র বাহিনী যে প্রস্তাব দিয়েছে, তাতে সেনাবাহিনীকে ১০-১২ দিনের বেশি মাঠপর্যায়ে পাওয়া যাবে না। কারণ, তফসিল অনুযায়ী ৫ জানুয়ারি ভোট অনুষ্ঠিত হবে। কমিশন সচিবালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০০৮ সালের নির্বাচনে ১২ দিনের জন্য সেনা মোতায়েন হয়েছিল।গতকাল সকালে নির্বাচন কমিশনের সভাকক্ষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিব উদ্দীন আহমেদের সভাপতিত্বে এ সভা হয়। সভার শুরুতে সিইসি বলেন, রাজনৈতিক সমঝোতা না হলেও সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা অনুযায়ী নির্বাচন করতেই হবে। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে মাঠে ভোটারদের মধ্যে ভীতি কাজ করছে। তাঁদের মনোবল চাঙা করার জন্য অতীতের নির্বাচনে যে সময়ে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে, এবার তার চেয়ে একটু আগে মোতায়েনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে।সভায় একজন নির্বাচন কমিশনার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময় থেকে সেনাবাহিনী মোতায়েনের প্রস্তাব দেন। সিইসি বলেন, শীতকালীন মহড়ার পর সেনা মোতায়েন হলে নির্বাচনী কাজে কাঙ্ক্ষিত সহযোগিতায় অনেকটা দেরি হয়ে যাবে।নির্বাচন কমিশনের পরিকল্পনা অনুযায়ী, গতবারের মতো এবারও প্রতিটি জেলায় এক ব্যাটালিয়ন সেনাসদস্য থাকবেন। প্রতিটি উপজেলায় টহল দেবে দুই থেকে চারটি করে প্লাটুন।সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ থেকে বলা হয়েছে, সেনাবাহিনী জেলা সদরে অবস্থান করে সেখান থেকে উপজেলায় টহল দেবে। কমিশন উপজেলা পর্যায়ে সেনাক্যাম্প স্থাপনের বিষয়ে আগ্রহ দেখিয়েছে। সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ বলেছে, অতিমাত্রায় ব্যয়ের কারণে তা সম্ভব না-ও হতে পারে। বৈঠক সূত্র জানায়, সভায় একটি গোয়েন্দা সংস্থা থেকে জানানো হয়েছে, এবারের নির্বাচন প্রতিরোধে বিএনপি জোরালোভাবে মাঠে নামবে না। তবে জামায়াত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নাশকতা চালাতে পারে। রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড চালাতে পারে। তাদের মূল লক্ষ্য স্থানীয় নির্বাচন অফিস, নির্বাচনী মালামাল ও নির্বাচন কর্মকর্তা। এর অংশ হিসেবে তারা প্রায় আড়াই হাজার কেন্দ্রে হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছে।র‌্যাব জানায়, নির্বাচনবিরোধীরা সংখ্যালঘুদের বাড়িঘরে আক্রমণ করে তা টেলিভিশনে প্রচারের মাধ্যমে আতঙ্ক ছড়াতে চায়। সে জন্য শুধু রাস্তা নয়, পাড়া-মহল্লায় টহল বাড়াতে হবে।বিজিবি জানিয়েছে, এবার তাদের ১০ হাজার সদস্য মাঠপর্যায়ে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন। আগের নির্বাচনে তাদের সাত হাজার সদস্য দায়িত্ব পালন করেছিলেন।আর অবৈধ প্রচার উপকরণ অপসারণ প্রশ্নে পুলিশ জানিয়েছে, এসব উপকরণ অপসারণের মতো জনবল ও টাকা তাদের নেই। তবে কমিশন বলেছে, যেকোনো উপায়ে অবৈধ উপকরণ অপসারণ করতে হবে।সভা শেষে সিইসি কাজী রকিব উদ্দীন আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচনে নিয়মিত বাহিনী থাকবে। তবে এক দিনে নির্বাচন হবে বিধায় নিয়মিত বাহিনীর পক্ষে পরিবেশ সুষ্ঠু রাখা সম্ভব না-ও হতে পারে। তাই অতীতে যেমন সেনাবাহিনী মোতায়েন হয়েছে, এবারও তার ব্যতিক্রম হবে না।সিইসি জানান, কবে সেনা মোতায়েন হবে, তা রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে ঠিক করা হবে। তার আগে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সর্বাত্মক ব্যবস্থা নিচ্ছে। পুলিশ তাদের আশ্বস্ত করেছে, কয়েক দিনের মধ্যেই পরিস্থিতি উন্নত হবে।তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৩ ডিসেম্বর। নিয়ম অনুযায়ী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের দু-চার দিন পর রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক হয়। এ হিসেবে কমিশন সেনা মোতায়েনের ব্যাপারে তাদের সিদ্ধান্তের কথা জানাবে ১৩ ডিসেম্বরের পরে।একতরফা নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হলে সেনাবাহিনী বিতর্কিত হবে কি না, জানতে চাইলে সিইসি বলেন, এখানে বিতর্কের কিছু নেই। সেনাবাহিনী বলেছে, কমিশন যেভাবে চাইবে, তারা সেভাবে সহায়তা করতে প্রস্তুত।২০০৯ সালে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধনের মাধ্যমে সরকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংজ্ঞা থেকে ‘সশস্ত্র বাহিনী’ শব্দটি বাদ দেয়। সম্প্রতি আবার আরপিও সংশোধনের সময় বিএনপি সশস্ত্র বাহিনীকে অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশ করে। কিন্তু তা আমলে নেওয়া হয়নি।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও এর আগে একাধিকবার বলেছেন, নির্বাচনে সেনাবাহিনীকে সম্পৃক্ত করা হবে না। ২০১১ সালে কমিশন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন ও পৌর নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের দাবি জানালেও সরকার তা আমলে নেয়নি।ইতিমধ্যে নাগরিক সমাজের কেউ কেউ কমিশনের এবারের সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্তকে যৌক্তিক নয় বলে মন্তব্য করেছেন। তাঁরা বলেছেন, একতরফা নির্বাচনে ব্যবহার করা হলে সেনাবাহিনী বিতর্কিত হবে।সিইসি বলেন, ‘রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাতের পরের দিনই তফসিল ঘোষণার কথা ছিল। আমরা তা করিনি। বরং আমাদের পরামর্শে রাষ্ট্রপতি সমঝোতার আহ্বান জানিয়েছিলেন। তাতে সাড়া দিয়ে কেউ কেউ আলোচনাও করেছেন।’বিএনপি না এলে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে কি না, জানতে চাইলে সিইসি বলেন, নির্বাচন স্বচ্ছ হবে। গ্রহণযোগ্য হবে কি হবে না, সেটা তাঁরা দেখতে পাবেন।সিইসি ছাড়াও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনার আবদুল মোবারক, আবু হাফিজ, জাবেদ আলী ও মো. শাহ নেওয়াজ, স্বরাষ্ট্রসচিব সি কিউ কে মুশতাক আহমেদ, কমিশন সচিব মোহাম্মদ সাদিক, সশস্ত্র বাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার বেলাল শফিউল হক, এনএসআইয়ের মহাপরিচালক মনজুর আহমেদ, আনসারের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল নাজিম উদ্দিন, বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ, কোস্টগার্ডের মহাপরিচালক রিয়ার অ্যাডমিরাল কাজী সারোয়ার হোসেন, সশস্ত্র বাহিনী গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সিরাজুল ইসলাম সিকদার, র‌্যাবের মহাপরিচালক মোখলেসুর রহমান প্রমুখ।বিদেশি পর্যবেক্ষক: গতকাল বিকেলে বিদেশি পর্যবেক্ষকদের পর্যবেক্ষণ-সম্পর্কিত বৈঠক শেষে সিইসি সাংবাদিকদের বলেন, বিগত দিনে যারা নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেছে, তাদের আমন্ত্রণ জানানো হবে। অন্য কেউ পর্যবেক্ষণ করতে চাইলে তাদের আবেদন করতে হবে।কমিশন সচিবালয় সূত্র জানায়, দেশি পর্যবেক্ষকদের মধ্যে গতকাল পর্যন্ত ৪০টি প্রতিষ্ঠানের ১৬ হাজার পর্যবেক্ষকের আবেদন পাওয়া গেছে। বর্তমানে ইসির নিবন্ধিত পর্যবেক্ষক সংস্থার সংখ্যা ১২০টি।আশির দশকে হলিউডের অভিনেত্রী জিল স্কলেনের সঙ্গে চুটিয়ে প্রেম করেছেন ‘ওয়ার্ল্ড ওয়ার জি’ তারকা ব্র্যাড পিট। সম্প্রতি জিলকে লেখা পিটের কয়েকটি প্রেমপত্র ফাঁসের খবর জানিয়েছে এইসশোবিজ।প্রেমপত্রগুলোতে জিলের প্রতি পিটের তীব্র আবেগ স্পষ্ট ফুটে উঠেছে। একটি চিঠিতে জিলকে উদ্দেশ করে ব্র্যাড পিট লিখেছিলেন, ‘আমি তোমাকে গভীরভাবে ভালোবাসি। তোমার প্রতি তীব্র এ ভালোবাসা আমার কাছে উপাসনার পর্যায়েই পড়ে। চিরকাল তোমাকে ভালোবেসে যাব আমি।’আরেকটি চিঠিতে পিট লিখেছিলেন, ‘আমি তোমাকে ছাড়া কিছু ভাবতে পারি না। তুমি পাশে না থাকলে নিজেকে পূর্ণাঙ্গ মনে হয় না আমার।’পিটের প্রচণ্ড ভালোবাসা পেলেও একটা সময়ে তাঁকে ছেড়ে চলে যান জিল। একজন চলচ্চিত্র নির্মাতার সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে তাঁর প্রেমে পড়েন তিনি। ১৯৮৯ সালে পিট ও জিল তাঁদের প্রেমের সম্পর্কের ইতি টানেন।জিলের কাছ থেকে প্রত্যাখ্যাত হয়ে প্রচণ্ড অপমানিত বোধ করেছিলেন পিট। এ প্রসঙ্গে তাঁর ভাষ্য ছিল, ‘আমার জীবনে ঘটে যাওয়া বাজে ঘটনাগুলোর মধ্যে অন্যতম এটা। এ ধরনের একটি ঘটনাকে কিছুতেই ভুলে যাওয়া সম্ভব নয় আমার পক্ষে। ঘটনাটি অনেক বেশি অবমাননাকর আমার জন্য। আমি খুবই অপমানিত বোধ করেছি।’অন্যদিকে বিচ্ছেদের পর পিটকে দারুণ রোমান্টিক বলেই মন্তব্য করেছিলেন জিল। তাঁর মতে, ‘পিটের সঙ্গে কাটানো সময়গুলো অনেক বেশি সুন্দর ছিল। জীবনে দারুণ এক অভিজ্ঞতা পেয়েছিলাম আমি। পিট আমাকে অসাধারণ কিছু কবিতা লিখে পাঠিয়েছিল। আমার ধারণা, একজন নারীকে এর চেয়ে সুন্দর কবিতা উপহার দেওয়া সম্ভব নয় কোনো পুরুষের পক্ষে। তাঁকে অনেক গভীর ও আবেগপূর্ণ একজন মানুষ মনে হতো আমার।’ 
স্পেনের ইবিজা সমুদ্রসৈকতে অবকাশযাপনে গিয়ে আলোকচিত্রীদের ফাঁদে ধরা পড়ে কম ঝামেলা পোহাতে হয়নি বলিউডের আলোচিত তারকা যুগল রণবীর কাপুর ও ক্যাটরিনা কাইফকে। তাঁদের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি ফাঁসে বিতর্কের ঝড় উঠলেও, এ ঘটনাকে রণবীর-ক্যাটরিনা খুব বেশি পাত্তা দিয়েছেন বলে মনে হয় না। আগামী অক্টোবরে নিউইয়র্কে অবকাশযাপনের পরিকল্পনা করছেন এ তারকা জুটি।এ প্রসঙ্গে ঘনিষ্ঠ সূত্রের বরাতে ‘মুম্বাই মিরর’ জানিয়েছে, রণবীর অভিনীত ‘বেশরম’ ছবিটি মুক্তি পাচ্ছে আগামী ২ অক্টোবর। আর অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহেই নিউইয়র্কে উড়াল দেওয়ার পরিকল্পনা করছেন রণবীর-ক্যাটরিনা।এই মুহূর্তে হাতে থাকা বিজ্ঞাপনচিত্রের কাজ শেষ করার জন্য ব্যস্ত সময় পার করছেন ক্যাটরিনা। আর রণবীর ব্যস্ত আছেন ‘বেশরম’ ছবির প্রচারণা নিয়ে। পরবর্তী ছবি ‘জগ্গা জাসুস’-এর শুটিং শুরুর আগে ছুটি কাটিয়ে হালকা হতে চান রণবীর। আর ছুটি কাটানোর জন্য এবার তিনি বেছে নিয়েছেন নিউইয়র্ককে। ক্যাটরিনাকে সঙ্গে নিয়েই ছুটি কাটাতে চান তিনি।নিউইয়র্কে অবকাশযাপনের সময় রণবীর-ক্যাটরিনাকে সঙ্গ দেবেন নির্মাতা করণ জোহর ও অয়ন মুখার্জি। এরই মধ্যে করণ ও অয়ন নিউইয়র্কে চলে গেছেন। সেখানে করণ তাঁর পরবর্তী ছবির কাহিনি লেখার কাজ শুরু করেছেন। অয়নও তাঁর পরবর্তী ছবির গল্প-ভাবনা নিয়ে কাজ করছেন সেখানে। নিউইয়র্কে করণ ও অয়নের সঙ্গে যোগ দেবেন রণবীর-ক্যাটরিনা। ছুটি কাটিয়ে দেশে ফিরেই অনুরাগ বসু পরিচালিত ‘জগ্গা জাসুস’ ছবির শুটিং শুরু করবেন রণবীর-ক্যাটরিনা।‘আজব প্রেম কি গজব কাহানি’ (২০০৯) ও ‘রাজনীতি’ (২০১০) ছবিতে রণবীর-ক্যাটরিনা জুটিকে দারুণ পছন্দ করেছিলেন দর্শকরা। ‘রাজনীতি’ ছবি মুক্তির পর তিন বছর কেটে গেছে। এই সময়ে ব্যক্তিগত জীবনে একে অপরের অনেক কাছাকাছি এলেও, রুপালি পর্দায় জুটি বাঁধা হয়নি রণবীর-ক্যাটরিনার। অনেক দিন থেকেই জুটি বেঁধে অভিনয়ের চেষ্টা করছিলেন তাঁরা। কিন্তু ব্যাটে-বলে না মেলায় তাঁদের সে ইচ্ছে আর পূরণ হয়নি।গত বছর মুক্তি পাওয়া ‘বরফি’ ছবিতে একসঙ্গে কাজ করার সময় দারুণ সুসম্পর্ক গড়ে উঠেছিল অনুরাগ বসু ও রণবীরের ভেতর। তখনই দুজন মিলে চলচ্চিত্র প্রযোজনা সংস্থা খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। পরে তাঁরা সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নও করেন। এ বছর তাঁদের ‘পিকচার শুরু’ প্রোডাকশনের যাত্রা শুরু হয়। পিকচার শুরু প্রোডাকশনের ব্যানারের প্রথম ছবি ‘জগ্গা জাসুস’।ঢাকার ধামরাই উপজেলায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে আজ বুধবার সন্ধ্যায় দুটি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে পাঁচজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ৩০ জন। হতাহত ব্যক্তিদের সবাই একই বাসের যাত্রী।সংঘর্ষের সময় একটি বাস আরেকটির ভেতরে ঢুকে যায় বলে পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। এতে ওই বাসটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। তাঁরা জানান, একটি ট্রাককে একটি বাস অতিক্রম করতে গিয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে চারজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তাঁরা হলেন কুরবান আলী (৩২), দেলোয়ারা বেগম (৫০), আবদুল মজিদ (৪০) ও মজনু (৩০)। বাকি একজনের পরিচয় জানা যায়নি। তাঁর লাশ স্বজনেরা নিয়ে গেছেন। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে কুরবান আলী দুর্ঘটনাকবলিত বাস এসবি লিংকের চালক, দেলোয়ারার বাড়ি ধামরাইয়ের ভালুমে, আবদুলের বাড়ি বড় জেঠাইলে ও মজনুর বাড়ি আশুলিয়ার নবীনগরে।ধামরাই থানার পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সন্ধ্যা ছয়টার দিকে মহাসড়কের জয়পুরা এলাকায় পাল সিএনজি পাম্পের কাছে ঢাকা থেকে মানিকগঞ্জের সাটুরিয়াগামী এসবি লিংকের একটি বাসের সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা ডিলিংক পরিবহনের আরেকটি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে একটি বাস আরেকটির ভেতরে ঢুকে গিয়ে দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলে দুজন এবং হাসপাতালে নেওয়ার পথে আরও একজন মারা যান। এ ছাড়া ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও সাভারের গণস্বাস্থ্যকেন্দ্র হাসপাতালে চিকিত্সাধীন অবস্থায় মারা যান আরও দুজন।ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী পাল সিএনজির কর্মকর্তা নাজির হোসেন বলেন, সাটুরিয়াগামী বাসটি দ্রুতগতিতে একটি ট্রাককে অতিক্রম করার সময় বিপরীত দিক থেকে আসা বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ সময় বিকট শব্দে তিনি ও আশপাশের লোকজন দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। তাঁদের অনেকের অবস্থাই আশঙ্কাজনক বলে জানান তিনি।ধামরাই থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শহীদুল ইসলাম সরদার জানান, ধামরাইগামী ডিলিংক পরিবহনের বাসটিতে কোনো যাত্রী ছিল না। বাসটির চালক ও তাঁর সহযোগী আহত হয়েছেন।ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রশীদ বলেন, দ্রুতগতিতে একটি ট্রাককে অতিক্রম করতে গিয়েই এই দুর্ঘটনা ঘটে।ছেলেটার নাম লিখে ইউটিউবে ‘সার্চ’ দিন। দেখে নিন কয়েকটা ভিডিও। কী ভাবছেন? ভুল করে কেউ লিওনেল মেসির ছোটবেলার ভিডিও অন্য এক বালকের নামে তুলে দিয়েছে?সন্দেহ নিরসনে আবারও নামটা লিখে ইন্টারনেটে কিছুক্ষণ ঘাঁটাঘাঁটি করতে পারেন। জেনে নিন ছেলেটার জীবনের গল্পও। আর্জেন্টিনায় জন্ম, আট বছর বয়স, গ্রোথ হরমোনের সমস্যা ধরা পড়েছে তারও অনেক আগেই। অথচ এই বয়সেই কী অসাধারণ ফুটবল খেলে সে! কী তার ড্রিবলিং, বল যেন কথা শোনে।কী আশ্চর্য, এ তো মেসিরই জীবনের গল্প। কোথাও কোনো ভুল হচ্ছে না তো?নাহ, ভুল নয়। ৮ বছর বয়সী ক্লদিও নানকুফিলের জীবনের গল্পটা মেসির মতোই। অনেকে তাকে বলছেন ‘নতুন মেসি’। বরফে ঢাকা আন্দিজের পাদদেশে বারিলোচে শহরে জন্ম বলে কেউ কেউ ডাকছেন ‘দ্য স্নো মেসি’!নানকুফিলকে নিয়ে মাতামাতি শুধু তার প্রতিভার ঝলক কিংবা মেসির সঙ্গে জীবনের গল্পে মিল বলে নয়। ২০১৪ বিশ্বকাপ উপলক্ষে বেশ কয়েকটি দেশের ফুটবল ঐতিহ্য নিয়ে প্রামাণ্যচিত্র তৈরি করছে বিবিসি। আর্জেন্টিনাকে নিয়ে পর্বটিতে দেশটির অতীত-বর্তমান-ভবিষ্যৎ প্রজন্মের তারকা হিসেবে থাকছেন ম্যারাডোনা, মেসি ও নানকুফিল! এমন দুই কিংবদন্তির সঙ্গে নিজের ছেলেকে দেখবেন—নানকুফিলের মা ভিভিয়ানার কাছে যেন স্বপ্নের মতো লাগে, ‘আরও ছোট থেকেই ও কীভাবে যেন বল নিয়ে এতসব কারুকাজ করে। আমরা ওকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, এসব করো কীভাবে? সে বলে, “কীভাবে খেলি, আমি জানি না। আমার পা এমনি এমনি খেলে।”’আর্জেন্টিনার মার্টিন গোমেজ নামে একটা ক্লাবের হয়ে খেলে নানকুফিল। কিন্তু এরই মধ্যে নজর কেড়েছে বার্সেলোনা, রিয়াল মাদ্রিদ ও অ্যাটলেটিকোর মতো স্প্যানিশ পরাশক্তিদের। তবে আর্জেন্টাইন এই ‘বিস্ময়বালক’ এই মুহূর্তে যে জনসংযোগ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ, সেটির মালিক মানুয়েল ওতেরো বলেছেন, ‘বড়দিনের ছুটি কাটিয়ে স্পেনের তিনটি ক্লাবে ট্রায়াল দিতে যাবে নানকুফিল। ক্লাবগুলো কী প্রস্তাব দেয়, তার ওপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত নেব আমরা।’বার্সেলোনায় এমন একটা সুযোগ পেয়ে মোড় ঘুরে গিয়েছিল মেসির জীবনের। নানকুফিলের জন্য কী অপেক্ষা করছে? ওয়েবসাইট।বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮-দলীয় জোটের ‘গণতন্ত্রের অভিযাত্রা’ কর্মসূচি ঠেকাতে গতকাল রোববারের মতো আজ সোমবারও সরকারি তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। রাজধানী ঢাকা আজও অবরুদ্ধ।রাজধানী ঢাকাকে অবরুদ্ধ করে গতকাল ২৯ ডিসেম্বর জোটের পূর্বঘোষিত ‘গণতন্ত্রের অভিযাত্রা’ কর্মসূচি পণ্ড করে দেয় সরকার। অভিযাত্রা সফল করতে না পারায় আজ ঢাকায় একই কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছে আন্দোলনরত জোট। আর ঢাকার বাইরে জেলা-উপজেলা ও বিভাগীয় শহরে রাজপথ, রেলপথ ও নৌপথে আজ অবস্থান কর্মসূচি পালন করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক, মোড় ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে সতর্ক রয়েছে পুলিশ। ঢাকার প্রবেশপথগুলোতে কড়া নিরাপত্তাব্যবস্থা বহাল আছে। নিরাপত্তার কড়াকড়িতে সাধারণ মানুষ হয়রানির শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে গোয়েন্দারা দায়িত্ব পালন করছেন। আছে র‌্যাবও। এ ছাড়া সশস্ত্র বাহিনী ও বিজিবির সদস্যরা স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে আছেন।রাজধানীর পল্টন, নয়াপল্টন, মতিঝিল, প্রেসক্লাব, হাইকোর্ট মোড়, শাহবাগ, বাংলামোটর, কারওয়ান বাজার, ফার্মগেট, মহাখালী, বনানী, উত্তরা, মোহাম্মদপুর, শ্যামলী, মিরপুর, রামপুরা, বাড্ডা, মালিবাগ, মৌচাকসহ বিভিন্ন এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা মোতায়েন রয়েছেন। তাঁরা পথচারী ও বিভিন্ন যানবাহন থামিয়ে তল্লাশি করছেন।নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আজ সকাল ১০টা পর্যন্ত জোটের নেতা-কর্মীদের দেখা যায়নি। নয়াপল্টন ও এর আশপাশের এলাকায় বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। প্রতিটি সড়কে প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কের দুই পাশে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে পুলিশ। ওই পথে যাতায়াতকারীদের প্রত্যেককে দাঁড় করিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তবে অফিসমুখী মানুষজন সেখান দিয়ে চলাচল করতে পারছে। বিএনপির কার্যালয়ের মূল ফটক ভেতর থেকে তালা দেওয়া রয়েছে। কার্যালয়ের সামনের সড়কে জলকামান প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এ ছাড়া সেখানে একটি প্রিজনভ্যানও রাখা হয়েছে। ওই এলাকার সব দোকান ও হোটেল বন্ধ রয়েছে।খালেদা জিয়ার গুলশানের বাসভবনের সামনে মোতায়েন রয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ। বালুভর্তি ট্রাক দিয়ে রাস্তা বন্ধ করে রেখেছে পুলিশ।গতকালের মতো আজও রাজধানী অবরুদ্ধ। দূরপাল্লার বাস চলছে না। নৌ ও রেলযোগাযোগ স্থবির। রাজধানীর ভেতরেও একই অবস্থা। হাতেগোনা কয়েকটি বাস চলতে দেখা গেছে।১৮-দলীয় জোটের কর্মসূচি ঠেকাতে ঢাকার বিভিন্ন প্রবেশপথ ও রাজধানীর ভেতরে সরকারদলীয় নেতা-কর্মীদের তত্পরতা লক্ষ্য করা গেছে।গতকাল রাতে পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, বিরোধী জোটের কর্মসূচি অব্যাহত থাকায় পুলিশের প্রস্তুতিও আগের মতোই থাকবে। এ ছাড়া কর্মসূচি পণ্ড করে দিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সরকারি দল সারা দেশ থেকে রাজধানীকে বিচ্ছিন্ন করে রাখার যে পদক্ষেপ নিয়েছে, সেটাও অব্যাহত থাকবে বলে বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে।৫ জানুয়ারির নির্বাচন প্রতিহত করতে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ঢাকা অভিমুখে অভিযাত্রা কর্মসূচি ঘোষণা করেন। তিনি দলের নেতা-কর্মী ও সক্ষম মানুষকে নয়াপল্টনে সমবেত হওয়ার আহ্বান জানান। তবে কাল পুলিশ বিএনপির চেয়ারপারসনকেও তাঁর গুলশানের বাসা থেকে বের হতে দেয়নি। তাঁর বাড়িও অবরুদ্ধ করে রাখে। পুলিশ ও সরকারি দলের নেতা-কর্মীদের নজিরবিহীন তত্পরতায় বিএনপি-জামায়াতের ব্যাপক প্রস্তুতি কোনো কাজেই আসেনি।
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার ভারতীয় সীমান্তঘেঁষা ময়রামপুর-গোড়ারপাড়া মাঠে গতকাল শনিবার গভীর রাতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যদের সঙ্গে চোরাকারবারিদের সংঘর্ষ হয়েছে। আজ রোববার সকালে ঘটনাস্থল থেকে আধা কিলোমিটার দূরে ছামিরুল ইসলাম (২৭) নামের এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ছামিরুল গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন বলে স্থানীয়রা দাবি করেছে। তবে বিজিবি ও পুলিশ বিষয়টি নিশ্চিত করেনি।বিজিবি দাবি করেছে, রাত ১২টার দিকে কয়েকজন চোরাকারবারি ভারত থেকে ফেনসিডিল নিয়ে উপজেলার প্রাগপুর ইউনিয়নের ময়রামপুর-গোড়ারপাড়া মাঠ দিয়ে আসছিল। পথে ৩২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধীন মহিষকুণ্ডি ক্যাম্পের টহলরত সদস্যরা তাদের চ্যালেঞ্জ করেন। চোরাকারবারিরা এ সময় বিজিবির সদস্যদের লক্ষ্য করে একটি ককটেল ছোড়ে। বিজিবির সদস্যরা আত্মরক্ষার্থে গুলি চালান।কুষ্টিয়া সেক্টরের বিজিবি ৩২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল কাজী আরমান হোসেন প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, চোরাকারবারিরা ককটেল ছুড়লে বিজিবির সদস্যরা আত্মরক্ষায় তিনটি ফাঁকা গুলি ছোড়েন। এরপর ঘটনাস্থল থেকে ২৯০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। আজ সকালে ঘটনাস্থল থেকে প্রায় আধা কিলোমিটার দূরে এক ব্যক্তির লাশ স্থানীয়রা পড়ে থাকতে দেখে। গুলিতে, না স্প্লিন্টারের আঘাতে মারা গেছে, তা নিশ্চিত নয়।তবে প্রাগপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আরিফুল ইসলাম মোল্লা বলেন, ছামিরুলের বুকে গুলি লেগেছে। তাঁর বাড়ি জামালপুর গ্রামে।কুষ্টিয়ার সহকারী পুলিশ সুপার (ভেড়ামারা সার্কেল) সি এ হালিম বলেন, ‘শুনেছি গুলিবিদ্ধ হয়ে একজন মারা গেছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করেছে। সুরতহাল শেষে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে।’দেশের চলমান সহিংসতা ও প্রাণহানির ঘটনায় বিদেশি কূটনীতিকেরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে চলমান সংকট কাটাতে তাঁরা সংলাপের ওপর তাগিদ দিয়েছেন। সংলাপের মাধ্যমেই সমস্যার সমাধান হবে বলে তাঁরা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।আজ বুধবার বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক ব্রিফিং শেষে কূটনীতিকেরা এই অভিমত দেন।বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি সাংবাদিকদের জানান, চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে কূটনীতিকদের জানানো হয়েছে।মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্লিউ মজীনা বলেন, সংলাপ, অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের ব্যাপারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাঁদের বিস্তারিত জানিয়েছেন। দুই পক্ষ সংলাপের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করার কথা বলেছে। বাংলাদেশের মানুষও সংলাপের মাধ্যমে সমাধান দেখতে চায়। তিনি বলেন, ‘আলোচনার এখনো সুযোগ রয়েছে। আমি আশা করি, আলোচনার সুযোগ কাজে লাগানো হবে।’বেলা সোয়া তিনটা থেকে প্রায় এক ঘণ্টা ধরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী কূটনীতিকদের ব্রিফ করেন। ব্রিফিংয়ের শুরুতে ১৮ দলের ডাকা হরতালে যেসব সংঘাত ও সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে তা জানিয়ে একটি ভিডিওচিত্র দেখানো হয়। এরপর দীপু মনি একটি লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন। এ ছাড়া ব্রিফিংয়ে উপস্থিত প্রধানমন্ত্রীর সংস্থাপন উপদেষ্টা এইচ টি ইমামও বক্তব্য দেন।ব্রিফিংয়ে কানাডা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ফ্রান্স, নেদারল্যান্ডস, ডেনমার্ক, চীন, জাপান, রাশিয়াসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনাররা উপস্থিত ছিলেন।বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮-দলীয় জোটের অবরোধ চলাকালে গতকাল বৃহস্পতিবার পটুয়াখালীতে পুলিশ ও অবরোধকারীদের দফায় দফায় সংঘর্ষে কমপক্ষে ৫০ জন আহত হয়েছেন। যশোরে বিএনপির স্থানীয় কার্যালয়ের আসবাব রাস্তায় এনে আগুন দেন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা।এর আগে বুধবার রাতে বরিশালে গ্যাসের সিলিন্ডারভর্তি ট্রাকে আগুন দেওয়া হলে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। আগুনে দুটি পরিবহন পুড়ে যায়। রাজবাড়ীতে তিনটি বাস ও দুটি ট্রাকে আগুন দেওয়া হয়।ঢাকার বাইরে প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক, আঞ্চলিক কার্যালয় ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর:পটুয়াখালী: পটুয়াখালী-বরিশাল মহাসড়কের তেলীখালী এলাকায় ভোর থেকেই বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীরা মহাসড়ক অবরোধ করেন। অবরোধের সমর্থনে তাঁরা সড়কে আগুন জ্বালিয়ে স্লোগান দেন।এ সময় পুলিশ ও র‌্যাব সদস্যরা তাঁদের হটানোর চেষ্টা করলে সংঘর্ষ বাধে। লাঠিসোঁটা নিয়ে নেতা-কর্মীরা সড়কের দুই পাশে অবস্থান নেন। এর পর থেকে দফায় দফায় সংঘর্ষ চলতে থাকে। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে।পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ শটগানের ৫০টি গুলি ছোড়ে। সংঘর্ষ চলাকালে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এম এ রব মিয়া ও মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদিকা জেসমিন জাফরসহ কমপক্ষে ৪৫ জন এবং পুলিশের পাঁচ সদস্য আহত হন।বরিশাল: নগরের রূপাতলী এলাকায় বুধবার রাতে ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান অপসোনিন ফার্মার সামনে গ্যাসের সিলিন্ডারভর্তি একটি ট্রাকে দুর্বৃত্তরা আগুন দেয়। সিলিন্ডারগুলোতে বিস্ফোরিত হলে দুটি ট্রাক, দুটি দোকান ও বেশ কিছু গাছ পুড়ে যায়।ট্রাকের চালক জুয়েল হাওলাদার জানান, চট্টগ্রামের এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি থেকে সাড়ে ৪০০ সিলিন্ডার নিয়ে বরিশালে আসেন তিনি। অবরোধের কারণে রাত সাড়ে আটটার দিকে ট্রাকটি অপসোনিনের কারখানার সামনে রাখা হয়। সাড়ে ১১টার দিকে কে বা কারা ট্রাকটিতে আগুন দেয়।ফায়ার সার্ভিস বরিশালের স্টাফ অফিসার মো. আবু ইউসুফ বলেন, দমকল বাহিনীর আটটি ইউনিট এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। অপসোনিন বাংলাদেশ বরিশালের লজিস্টিক ম্যানেজার মো. সাইদুর রহমান জানান, সিলিন্ডার বিস্ফোরণের কারণে তাঁদের ওষুধভর্তি দুটি ট্রাকের ক্ষতি হয়েছে।যশোর: জামায়াতের ডাকা হরতাল চলাকালে যশোর-বেনাপোল সড়কের ঝিকরগাছা উপজেলা সদরে গতকাল বেলা ১১টার দিকে বিএনপি, জামায়াত-শিবির ও আওয়ামী লীগের মধ্যে ত্রিমুখী সংঘর্ষ হয়।এ সময় ইটের আঘাতে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মর্তুজা এলাহিসহ উভয় পক্ষের কমপক্ষে ১০ জন আহত হন। সংঘর্ষ চলাকালে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা বিএনপির স্থানীয় কার্যালয়ের চেয়ার-টেবিল ও অন্যান্য আসবাব রাস্তায় নিয়ে আগুন ধরিয়ে দেন। পরে কাঁদানে গ্যাসের শেল ও ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।সকাল নয়টার দিকে কেশবপুর থেকে রিকশাভ্যানে করে যশোর শহরে আসার পথে গণতান্ত্রিক আইনজীবী সমিতির কেন্দ্রীয় সদস্য আবু বকর সিদ্দিকীকে মারধর করেন জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা।উল্লেখ্য, যশোর সদর উপজেলার উপশহর ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি আবদুল হাই সিদ্দিকী ওরফে বুলবুলকে বুধবার রাতে গুলি করে হত্যার প্রতিবাদে জেলায় হরতাল ডাকা হয়।রাজবাড়ী: রাজবাড়ীর নতুন বাজারের পাশে জেলখানার সামনে বুধবার রাতে একটি বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। রাজবাড়ী-বালিয়াকান্দি আঞ্চলিক সড়কের কাজীবাধা মোড়ে আরেকটি বাসে পেট্রল ঢেলে আগুন দেওয়া হয়। রাত ১২টার দিকে শহরের খাদ্যগুদামের পাশে রাখা একটি ট্রাকে দুর্বৃত্তরা আগুন দেয়।একই রাতে গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ঘাটে একটি বাস এবং জমিদার ব্রিজ এলাকায় একটি পণ্যবাহী ট্রাকে আগুন দেওয়া হয়। এদিকে বুধবার গভীর রাতে দৌলতদিয়া যৌনপল্লিতে ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এ ঘটনায় পাঁচ কিশোরকে আটক করেছে পুলিশ।সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরা-যশোর সড়কের শহরতলির কদমতলায় গতকাল সকালে জামায়াত-শিবির বিক্ষোভ মিছিল করে। এ সময় সাতক্ষীরা-যশোর সড়ক, সাতক্ষীরা-শ্যামনগর সড়ক, সখীপুর-দেবহাটা সড়ক, সাতক্ষীরা-আশাশুনির সড়কে গাছের গুঁড়ি, বিদ্যুতের খুঁটি ও বাঁশের বেড়া ফেলে সড়ক অবরোধ করা হয়। বিভিন্ন স্থানে সড়কে টায়ারে আগুন জ্বালানো হয়।পিরোজপুর: জেলার মঠবাড়িয়া পৌর শহরের ডাকবাংলো মোড়ে গতকাল ভোরে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধের চেষ্টা করেন বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীরা। সকাল ১০টায় উপজেলা বিএনপি শহরে মিছিল নিয়ে আদালত এলাকায় সড়ক অবরোধ করে।পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার বোয়ালমারী এলাকায় আজ সোমবার ভোরে ট্রাক খাদে পড়ে তিনজন নিহত হয়েছে। ঘন কুয়াশার কারণে চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে।এ ঘটনায় চালকসহ ট্রাকে থাকা তিনজন মারা যান। তবে তাঁদের নাম-পরিচয় এখনো জানা যায়নি।খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেছে। লাশ ও ট্রাক উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।প্রথম আলোকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিদ মাহমুদ।
ঘরের মাঠ। প্রতিপক্ষ চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ। নিজেদের মেলে ধরার মোক্ষম সুযোগই এসেছিল ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোদের সামনে। সেটা অবশ্য হয়নি। সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে গত রাতে অ্যাটলেটিকোর কাছে ০-১ গোলে হেরে গেছে রিয়াল মাদ্রিদ।স্প্যানিশ লা লিগায় ১৯৯৯ সালের পর এই প্রথম রিয়ালের বিপক্ষে জয়ের দেখা পেল অ্যাটলেটিকো। এর কৃতিত্বটা ডিয়েগো কস্তার। ম্যাচের ১১ মিনিটের ঘটনা। রিয়ালের রক্ষণভাগ ও মিডফিল্ডের মাঝামাঝি জায়গা থেকে কস্তাকে পাস দিয়েছিলেন কোকে। ব্রাজিলীয় এই ফরোয়ার্ড বিন্দুমাত্র ভুল করেননি। ডান পায়ের শটে বল জড়িয়ে দেন রিয়ালের জালে। সেই গোলটা আর শোধ করতে পারেনি রিয়াল। অ্যাটলেটিকো অবশ্য ব্যবধানটা বাড়িয়ে নেওয়ার বেশ কয়েকটি সুযোগ পেয়েছিল। তবে এর কোনোটাই কাজে লাগাতে পারেনি। ৮২ মিনিটে কোকের একটি শট তো লাগল গোলবারে!গত রাতে হারের ফলে বার্সার সঙ্গে ব্যবধানটা আরও বাড়ল রিয়ালের। দুই থেকে ব্যবধানটা এখন পাঁচ পয়েন্টের। সাত ম্যাচে বার্সার অর্জন ২১ পয়েন্ট। সমানসংখ্যক ম্যাচে ২১ পয়েন্ট অ্যাটলেটিকোরও। তবে একটি ড্র ও একটি হারের ফলে রিয়ালের অর্জন ১৬ পয়েন্ট।দলগতভাবে অ্যাটলেটিকো যেমন বার্সার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে লড়ছে, তেমনি লিওনেল মেসির সঙ্গে সমানতালে লড়ছেন ডিয়েগো কস্তা। গত রাতেই আলমেইরার বিপক্ষে এক গোল করে ইনজুরিতে পড়া মেসির লিগে এখন পর্যন্ত গোলসংখ্যা ৮। রিয়ালের বিপক্ষে জয়সূচক গোল করায় কস্তার গোলসংখ্যাও ৮। নামের পাশে ৬ গোল নিয়ে মেসি ও কস্তার পরের অবস্থানে রিয়ালের পর্তুগিজ উইঙ্গার রোনালদো। সূত্র: রয়টার্স।রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কাল বৃহস্পতিবার প্রতিবাদ সমাবেশ করবে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮-দলীয় জোট।নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশের অনুমতি চাওয়া হলেও তাদের সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। বিএনপির দপ্তরের দায়িত্বে থাকা যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর স্বাক্ষর করা এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, কাল বেলা দুইটায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তাঁদের সমাবেশ শুরু হবে।টানা তিন দিনের হরতাল শেষে হরতাল চলাকালে বিরোধীদলীয় নেতা-কর্মীদের ‘হত্যা’, হামলা, মামলার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সারা দেশে প্রতিবাদ সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন। ঢাকায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করার অনুমতি চেয়েছিল বলে মির্জা ফখরুল জানিয়েছিলেন।নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের সিদ্ধান্ত নেওয়ার নিয়ম না থাকলেও তা মানছে না ‘নির্বাচনকালীন সরকার’। তারা এখনো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তসহ কিছু বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। নির্বাচনী দায়িত্বে সম্পৃক্ত ব্যক্তিদের নানা সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। নির্বাচনসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বদলি ও পদায়ন করা হচ্ছে।কোনো কোনো মন্ত্রণালয়ের নথিপত্রে এখন সই করা হচ্ছে তফসিল ঘোষণার আগের তারিখ দিয়ে। অন্যদিকে নির্বাচনকালীন নীতিনির্ধারণী কাজকর্ম সম্পর্কে আইনে স্পষ্ট উল্লেখ না থাকায় সচিবালয়ের কর্মকর্তারাও দ্বিধায় পড়ছেন। এ সময় কাজের ধরন কী হবে, তা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের কাছে জানতে চাচ্ছেন মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তারা।বৈদেশিক সাহায্যপ্রাপ্ত কারিগরি সহায়তা প্রকল্প বৈদেশিক চুক্তিসংশ্লিষ্ট হওয়ায় একনেক বৈঠক করার ও প্রকল্প অনুমোদনের ক্ষমতা মন্ত্রীকে দেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে নির্বাচন কমিশনে চিঠি পাঠিয়েছে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়।জানতে চাইলে সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার প্রথম আলোকে বলেন, নির্বাচনকালীন সরকারের আমলে কী কী কাজ হবে, তা আইনে নির্ধারিত নেই। তবে যেসব কাজ নির্বাচনে প্রভাব ফেলতে পারে, সেসব সিদ্ধান্ত নেওয়া ঠিক নয়। যেমন পুলিশ ও শিক্ষকদের এ মুহূর্তে সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত ঠিক হচ্ছে না।তবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা বলেন, ‘নির্বাচনকালীন সরকারে’র কাজের ধরন কী হবে, তা বর্তমান সংবিধান বা আইনে বলা নেই। রুলস অব বিজনেসেও বলা নেই। তাই এ সময়ে কী কী কাজ করা যাবে, তা মন্ত্রণালয়গুলোর বিচার্য বিষয়। এ সময়ে তারা যদি কোনো কাজের বিষয়ে অস্পষ্টতা মনে করে, তাহলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের পরামর্শ নিতে পারে। এমনকি নির্বাচন কমিশনেরও পরামর্শ নিতে পারে।পুলিশে বদলি ও পদায়ন: বদলি ও পদায়ন এ সময়ে বন্ধ হওয়ার কথা থাকলেও পুলিশের ১৪ কর্মকর্তাকে বিভিন্ন পদে বদলি ও পদায়নের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর। গত বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ওই ১৪ জনের তালিকা পৌঁছে দেওয়া হয়।ওই তালিকা অনুযায়ী চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার (এসপি) এ কে এম হাফিজ আক্তারকে নোয়াখালীতে; নোয়াখালীর এসপি আনিসুর রহমানকে চট্টগ্রামে, সাতক্ষীরার এসপি মোল্লা জাহাঙ্গীর হোসেনকে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপির) উপকমিশনার (ডিসি); ডিএমপির ডিসি চৌধুরী মঞ্জুরুল কবিরকে সাতক্ষীরা; ডিএমপির এসপি সারোয়ার মোর্শেদ শামীমকে রাজশাহীর সারদায়; ডিএমপির ডিসি শেখ নাজমুল আলমকে দিনাজপুরে, পুলিশের এআইজি আসাদুজ্জামানকে নাটোরের এসপি; নাটোরের এসপি নাহিদ হোসেনকে ঢাকা পুলিশ স্টাফ কলেজে; এসপি হিসেবে নাটোরে বদলির আদেশপ্রাপ্ত বাসুদেব বণিককে নড়াইলে; খুলনার এসপি গোলাম রউফ খানকে চট্টগ্রামের ডিসি, ডিএমপির ডিসি রুহুল আমিনকে খুলনার এসপি, ভোলার এসপি মোহা. মনিরুজ্জামানকে ডিএমপির ডিসি পদে বদলি ও সুদান মিশন থেকে প্রত্যাগত মনির হোসেনকে ভোলার এসপি হিসেবে পদায়নের প্রস্তাব করা হয়েছে।এ ছাড়া পুলিশের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর জন্য সরকারের যেসব উদ্যোগ এত দিন কার্যকর হয়নি, সেগুলো এখন সম্পন্ন করার জন্য গত ২৪ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদিত একটি সারসংক্ষেপ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দেওয়া হয়েছে। এ সারসংক্ষেপে প্রধানমন্ত্রীর বিদায়ী দুই উপদেষ্টারও স্বাক্ষর রয়েছে। ওই সারসংক্ষেপে জঙ্গিবাদ নির্মূলে পুলিশ ব্যুরো অব কাউন্টার টেররিজম গঠন, বিমানবন্দরে নিয়োজিত ব্যাটালিয়ন জনবল বৃদ্ধি, গ্রেড-২ পদ সৃষ্টি এবং রংপুর মেট্রোপলিটন ইউনিট গঠনের সিদ্ধান্ত বাকি রয়েছে বলে দেখা যায়। অন্যগুলো ইতিমধ্যে বাস্তবায়িত হয়েছে।প্রাথমিক শিক্ষক: নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার এক দিন পর ২৬ নভেম্বর দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের পদমর্যাদা এক ধাপ বৃদ্ধি করে দ্বিতীয় শ্রেণী এবং সহকারী শিক্ষকদের এক ধাপ বেতন বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রধান শিক্ষকদের মর্যাদা বৃদ্ধির পাশাপাশি তাঁদের বেতন স্কেল বাড়বে। একই সঙ্গে সহকারী শিক্ষকদের বেতনও বাড়বে। প্রধান শিক্ষক ও সহকারী মিলিয়ে সারা দেশের প্রায় চার লাখ শিক্ষক এ সুবিধা পাবেন। প্রশ্ন উঠেছে, তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচনী কাজের সঙ্গে সরাসরি জড়িত বিশাল এ পেশাজীবী গোষ্ঠীকে সুবিধা দেওয়া যায় কি না।তবে জানতে চাইলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষাসচিব কাজী আখতার হোসেন বলেন, এটা নিয়মিত কাজ। এটা হতে বাধা নেই।তফসিলের দিনও বদলি: তফসিল ঘোষণার দিন ২৫ নভেম্বরও চারজন কর্মকর্তাকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পদে পদায়নের জন্য এ বিষয়ে আদেশ জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এ জন্য এই চার কর্মকর্তাকে চার বিভাগে ন্যস্ত করা হয়েছে। তাঁদের ১ ডিসেম্বরের মধ্যে অবমুক্ত হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইউএনওরা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। কাজেই এ সময় এটা করার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।আরও বৈঠকের অনুরোধ: পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছে বৈদেশিক সাহায্যপ্রাপ্ত কারিগরি সহায়তা প্রকল্প অনুমোদনের ক্ষমতা চেয়েছে। গতকাল ইসিকে দেওয়া এক চিঠিতে এ ক্ষমতা চাওয়া হয়। এ ছাড়া স্থানীয় সরকার বিভাগ তিনটি প্রকল্প জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে (একনেক) অনুমোদনের ব্যবস্থা নিতে পরিকল্পনা কমিশনে চিঠি দিয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, এ প্রকল্প তিনটি জরুরি ভিত্তিতে অনুমোদন না হলে বাংলাদেশ প্রকল্প সাহায্য থেকে বঞ্চিত হবে।নির্বাচনকালীন কাজ নিয়ে অস্পষ্টতা: নির্বাচনকালীন কাজকর্মের ধরন নিয়ে সচিবালয়সহ মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের মধ্যে অস্পষ্টতা রয়েছে। তফসিলের পরপরই কোনো কোনো জেলা প্রশাসক মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে জানতে চেয়েছেন, আগামী ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস উদ্যাপনসংক্রান্ত কমিটিতে সাংসদদের আগের মতো রাখা যাবে কি না। এ রকম আরও কিছু বিষয় নিয়ে অস্পষ্টতা আছে প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তাদের মধ্যে। তফসিলের পরপর শিক্ষা, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা, তথ্য, জনপ্রশাসনসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কয়েকজন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।স্থানীয় সরকার বিভাগের আদেশ: স্থানীয় সরকার বিভাগ গতকাল এক আদেশে বলেছে, ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা, জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ বা সিটি করপোরশন এমন কোনো স্কিম গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করবে না, যা জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোনো প্রার্থীর ভোট পেতে বা প্রচারণার পক্ষে ব্যবহূত হতে পারে। একই আদেশে বলা হয়েছে, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের কোনো অফিস ও সম্পত্তি কোনো প্রার্থীর নির্বাচনের কাজে কোনোভাবেই ব্যবহার করা যাবে না।মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল কাদের মোল্লার ফাঁসির রায় পুনর্বিবেচনার আবেদনের (রিভিউ) গ্রহণযোগ্যতা প্রশ্নে আজকের শুনানি শেষ হয়েছে।এরপর বিষয়টি আগামীকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মুলতবি করা হয়েছে।আগামীকাল বৃহস্পতিবার আবার শুনানি হবে....বিস্তারিত
২০১২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর মধ্যরাত। কেউ ঘুমের ঘোরে মগ্ন, কেউ তখনো জেগে আছে। বৌদ্ধবিহারের নিরপরাধ নিরীহ ভিক্ষু শ্রামণেরা নিরাপদ স্থানে পালিয়ে যাচ্ছে। গৃহবাসীরা গৃহ ছেড়ে পালাচ্ছে। চারদিকে ধুমধাম, মার মার কাট কাট আওয়াজ। বড়ুয়াদের গালে গালে, জুতা মারো তালে তালে; বড়ুয়াদের চামড়া, তুলে নেব আমরা—এমন অনেক সাম্প্রদায়িক স্লোগানে প্রকম্পিত বৌদ্ধ জনপদ। আগুনের লেলিহান শিখায় দগ্ধ হচ্ছে বিহার, বুদ্ধমূর্তি, ত্রিপিটক, নিদর্শন, ঐতিহ্য, পূজার থালা—সবকিছু। সম্প্রীতির গায়ে কখন যে আগুন লেগে গেল কেউ বুঝতেই পারল না। ৩০ সেপ্টেম্বর উখিয়া, টেকনাফ, পটিয়ায় একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হলো। হতবাক বাংলাদেশ! শুরুটা রামু থেকে হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ও সহিংসতার মাত্রা রামুতে বেশি হয়েছিল বলেই নাম বনে গেল রামু সহিংসতা। এখন রামু সহিংসতা বললে সবাই বোঝে, এর মানে কী। ঘটনার পরবর্তী সরকারি উদ্যোগে ধ্বংসপ্রাপ্ত বৌদ্ধবিহার এবং বৌদ্ধবসতিগুলো দ্রুত পুনর্নির্মাণ, পুনর্বাসন, নিরাপত্তা জোরদার, আক্রান্ত এলাকাগুলোতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর একাধিকবার আগমন, ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের পাশে দাঁড়ানো, ইত্যাদি পদক্ষেপ নিঃসন্দেহে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের ক্ষতিপূরণে এবং আতঙ্ক, ভয়, আস্থাহীনতা কমিয়ে আনতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং তাঁর সরকারের এমন মানবিক ভূমিকা ও আন্তরিকতার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিরাও খুব খুশি। দেশ এবং আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও সরকার এর জন্য প্রশংসার দাবি রাখে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ১৭ ইসিবি এসডব্লিউও চট্টগ্রাম অঞ্চলের সার্বিক তত্ত্বাবধানে নির্মাণকাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। কেবল তাঁদের দায়িত্ববোধের ভিত্তিতে নয়, সঙ্গে আন্তরিকতার অভাব ছিল না বলেই কাজ দ্রুত সম্পন্ন হয়েছে। ৩ সেপ্টেম্বর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর থেকে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিরা নবনির্মিত বিহারগুলোতে পূজা, বন্দনা ও উপাসনা শুরু করেছেন। আগের মতো দেশ ও বিশ্বশান্তি কামনায় প্রার্থনাও হচ্ছে পুরোদমে। সরকার এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি জাতি-ধর্ম-দল-মতনির্বিশেষে দেশবাসী যেভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছিলেন, তা অভূতপূর্ব এবং বিরল এক ঘটনা। দেশি-বিদেশি টিভি চ্যানেল, অনলাইন পত্রিকা, দৈনিক পত্রপত্রিকা, গণমাধ্যমের কথা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করতে হয়। টিভি চ্যানেলগুলো সর্বোচ্চ প্রচারণা চালিয়ে গেছে। অনেক লেখক গুরুত্বপূর্ণ প্রবন্ধ-নিবন্ধ লিখেছেন। সবার প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা জানাই।দুই২৯ সেপ্টেম্বরের আগে এবং রামুর বৌদ্ধবিহার পুরাকীর্তি ও নিদর্শনগুলো দেশ-বিদেশের পর্যটকদের কাছে টানত। পুনর্নির্মিত বিহারগুলোও পর্যটকদের কাছে টানবে নিঃসন্দেহে। কিন্তু বিহারগুলোতে অমূল্য যে সম্পদ ছিল, সেগুলোর আর দেখা মিলবে না। পুরো বিহারেই ফাঁকা ফাঁকা পরিবেশ বিরাজ করছে। নেই কোনো প্রাচীনত্বের ছাপ। আগে বিভিন্ন নিদর্শন ঐতিহ্য নিয়ে কত কথা হতো। এখন শুধু পর্যটক এলে ছবি তোলেন, একটু বিনোদন নেওয়ার চেষ্টা করেন। অনেকে বলেন, বিহার পুড়ে আপনাদের অনেক লাভ হয়েছে। এখন কোটি কোটি টাকার দামি পাকা দালান বিহার হয়েছে। অপমান আর মানসিক জ্বালা নিয়ে মাথা নিচু করে থাকা ছাড়া তাঁদের প্রতি কী-ই বা বলার থাকে। বলার প্রয়োজনবোধও করি না। মিয়ানমার ও থাইল্যান্ড থেকে আসা বুদ্ধমূর্তিগুলো ভাগে দুইটা করে পাওয়া গেছে। থাইওয়ান থেকে প্রচুর ধর্মীয় গ্রন্থ পাওয়া গেছে। প্রথম আলো পাঠাগার সৃষ্টিতে সহায়তা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। সংরক্ষিত পবিত্র ধাতু, পুঁথিপত্র বিভিন্ন ভাষার অসংখ্য ত্রিপিটকখণ্ড চিরতরে হারিয়ে গেল।স্বর্ণমূর্তি, রৌপ্যমূর্তি, ব্রোঞ্চমূর্তি, শ্বেতপাথরের মূর্তি, পিতলের মূর্তিসহ বিভিন্ন আকারের অসংখ্য বুদ্ধমূর্তির জন্য মিনি মিউজিয়ামের মতো ছিল কেন্দ্রীয় সীমা বিহারের সংগ্রহশালা। উত্তর মিঠাছড়ি প্রজ্ঞামিত্র বনবিহার, চেরাংঘাটা বড় ক্যাং এবং শ্রীকূল মৈত্রী বিহারেও অনেক বুদ্ধমূর্তি ছিল। দেশ-বিদেশ থেকে পাওয়া গুরু ভান্তের (সত্যপ্রিয় মহাথের) সুদীর্ঘ ৬০ বছরের অর্জন অসংখ্য মানপত্র, ক্রেস্ট, অভিধা, দুর্লভ উপহারসামগ্রী, সনদ—এসব আর ফিরে পাওয়ার মতো নয়। যাঁদের বসতবাড়ি পুড়েছে, তাঁদেরও অনেকের আপনজনদের স্মৃতিচিহ্ন মুছে গেছে। এই ক্ষতিগুলো কি কখনো পূরণ হয়? সরকার ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের জন্য যা করেছে, তা এককথায় অনন্য অসাধারণ একটি কাজ করেছে। তার পাশাপাশি বিহারগুলোর ভেতরের শূন্যতা কাটিয়ে ওঠার জন্য যদি কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়, তাহলে নবনির্মিত বিহারগুলোর ঘাটতি কিছুটা লাঘব হতো। বিহারগুলোতে অপূরণীয় সম্পদের পাশাপাশি পূরণীয় অনেক সম্পদও ছিল।তিনঘটনার পরবর্তী রামু, উখিয়া ও টেকনাফে ১৯টি মামলা হয়। মামলায় ১৫ হাজারেরও বেশিসংখ্যক মানুষকে আসামি করা হয়। পাঁচ শতাধিক ব্যক্তি আটক হন। এক শতাধিক ব্যক্তি আটকাবস্থা থেকে মুক্তি পান। ২ ও ৩ সেপ্টেম্বর পুলিশ সাতটি মামলার চার্জশিট দাখিল করে। মামলায় ৩৬৪ জনকে অভিযুক্ত করা হয়। অবশিষ্ট ১২টি মামলার চার্জশিট প্রক্রিয়াধীন। একজন বৌদ্ধভিক্ষু হিসেবে হামলা, মামলা, আটক, থানা, পুলিশ, আসামি—এসব নিয়ে মাতামাতি করা ভিক্ষুজীবনের নীতিবিরুদ্ধ কাজ। বৌদ্ধভিক্ষুদের ধ্যানাসনে ছাড়া অন্য কোথাও শোভা পায় না। এমনকি সিংহাসনেও না। ৩ সেপ্টেম্বর প্রথম আলোতে ‘৭ মামলার প্রধান আসামিদের অভিযোগপত্রে নাম নেই’ শীর্ষক সংবাদ প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘পুলিশসূত্রে জানা গেছে, সাত মামলায় যাঁরা প্রধান আসামি ছিলেন, তাঁদের নাম অভিযোগপত্রে নেই।’ ২ সেপ্টেম্বরের প্রথম আলোর আরেক প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘সাত মামলায় অভিযুক্ত ৩৬৪ জন আসামির মধ্যে উল্লেখযোগ্য কেউ নেই। হামলার সময় পুলিশের হাতে আটক লোকজনই মামলার আসামি হয়েছে।’ ১৪ সেপ্টেম্বর কক্সবাজার থেকে প্রকাশিত দৈনিক দৈনন্দিন পত্রিকায় ‘১২ মামলা নিয়ে পুলিশ বিপাকে’ শীর্ষক সংবাদ প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীদের চার্জশিট থেকে বাদ দেওয়ার জন্য পুলিশের ওপর চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে।’ আমরা বারবার বলে আসছি যে নির্দোষ কোনো ব্যক্তি যাতে শাস্তি ও হয়রানির শিকার না হয়। এটা হলে সম্প্রীতির জন্য ক্ষতিকর হবে। রামু সহিংসতা দলীয় মনোভাব থেকে হয়নি। ঘটনার পরবর্তী আত্মরক্ষা এবং ব্যক্তিস্বার্থে দলের লেবাস ব্যবহার করা হচ্ছে। তথ্য সংগ্রহ, ভিডিও ফুটেজ, ছবি, জবানবন্দি, সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতেই পুলিশকে এগোতে হবে। পুলিশের বাকি ১২টি মামলার চার্জশিট যাতে প্রশ্নবিদ্ধ না হয়, সেদিকে পূর্ণ সতর্কতা প্রয়োজন। অভিযোগপত্র একটি স্পর্শকাতর বিষয়। এটা পূর্ণ নিরপেক্ষতার ভিত্তিতেই হওয়া উচিত। অবশ্য এ ক্ষেত্রে পুলিশেরও কিছু সীমাবদ্ধতা আছে। পুলিশের কাজে প্রভাব বিস্তার না করলে পুলিশ শতভাগ স্বচ্ছতার ভিত্তিতে কাজ করতে পারবে। রামুর বাসিন্দা সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়ুয়ার করা এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করা হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘পরিকল্পনার ছক কারা, কোথায়, কখন এবং কীভাবে করেছিল, তা নির্ধারণ করা যায়নি। অর্থাৎ ঘটনার মূল হোতা কারা, তা শনাক্ত করা যায়নি। অথচ ঘটনার পর থেকেই এক দল আরেক দলকে, এক নেতা অপর নেতাকে দোষারোপ করে আসছেন। ঘটনার নেপথ্যে রাঘব বোয়ালেরা যদি চিহ্নিতও না হন, তাহলে চার্জশিট গঠন হচ্ছে কাদের বিরুদ্ধে এবং বিচার হবে কাদের? পরিকল্পিতভাবে যাঁরা ঘটনাটি ঘটিয়েছেন, তাঁরা আসলেই কৌশলী ও মেধাবী। তাঁরা অনায়াসে সফলও হয়েছেন এবং এখন পারও পেয়ে যাচ্ছেন। সন্দেহের ভিত্তিতে ১৫ হাজার মানুষকে আসামি করা ও ধরপাকড় করার চেয়ে পরিকল্পনাকারী ও চক্রান্তকারীদের আবিষ্কার করতে পারলে ঘটনার মূল শিকড়ে পৌঁছানো যেত। ঘটনার মূল হোতা কারা, সেদিন স্থানীয় প্রশাসন নিষ্ক্রিয় ছিল কেন, এতটা সময় পেয়ে ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যথাসময়ে পদক্ষেপ নিতে পারল না কেন? এসব প্রশ্নের সমাধান না হলে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিরা নিজেদের এখনো নিরাপদ মনে করতে পারছেন না। ঘটনার এক বছর কেটে গেল কিন্তু ঘটনার রহস্য এখনো অন্ধকারে রয়ে গেছে। নিরাশ হওয়ারই কথা।প্রজ্ঞানন্দ ভিক্ষু: সহকারী পরিচালক, কেন্দ্রীয় সীমা বৌদ্ধবিহার।এবার শেয়ারবাজার নিয়ে মহাজোট সরকারের সাফল্য প্রচারের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। সম্প্রতি বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনকে (বিএসইসি) সাফল্য প্রচারের নির্দেশ দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। বিএসইসি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।গত ২৬ সেপ্টেম্বর অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের পরিচালনা পর্ষদ ও সমন্বয় অধিশাখা থেকে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) চিঠি পাঠানো হয়। চিঠিতে মহাজোট সরকারের পাঁচ বছরে বিভিন্ন আর্থসামাজিক ও মানবিক উন্নয়ন সূচকের প্রচারণা চালানোর জন্য বিএসইসিকে নির্দেশ দেওয়া হয়।অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের পরিচালনা পর্ষদ ও সমন্বয় অধিশাখার উপসচিব মো. রিজওয়ানুল হুদার স্বাক্ষরিত চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, ‘মন্ত্রিসভার বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিভিন্ন আর্থসামাজিক ও মানবিক উন্নয়ন সূচকসমূহে ২০০৯ এবং ২০১৩ সালের অগ্রগতির তুলনামূলক চিত্র জনসাধারণের বোধগম্য ভাষায় প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া, বিলবোর্ড এবং স্ব-স্ব ওয়েবসাইটে জরুরিভিত্তিতে বহুল প্রচারের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।’ চিঠিতে আর্থসামাজিক উন্নয়নের ১৫টি সূচক উল্লেখ করা হয়।বিএসইসির মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. সাইফুর রহমান অর্থ মন্ত্রণালয়ের চিঠি পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি আজ বুধবার প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, সরকারের বিগত পাঁচ বছরের সাফল্য প্রচারের অংশ হিসেবে শেয়ারবাজারের সাফল্য প্রচারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিএসইসির পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান তিনি।এদিকে বাজার পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসে। এরপর বাজার দ্রুত বাড়তে থাকে। ২০১০ সালের ৫ ডিসেম্বর প্রধান বাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাধারণ মূল্যসূচক শেয়ারবাজারের ইতিহাসে সর্বোচ্চ আট হাজার ৯১৮ পয়েন্টে দাঁড়ায়। এরপর শুরু হয় ধস। শেয়ারবাজার ধসের ধাক্কা আজও সামলে উঠতে পারেনি। গত ১ এপ্রিল ডিএসইর সাধারণ মূল্যসূচক তিন হাজার ৬১০ পয়েন্টে নেমে আসে। অব্যাহত বাজার ধসের কারণে নিঃস্ব হন অনেক বিনিয়োগকারী। রাজধানীর মতিঝিলসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিনিয়োগকারীদের বিক্ষোভও প্রদর্শন করতে দেখা যায়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটে।এ দিকে বাজারে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে অবশ্য সরকারের পক্ষ থেকে বেশ কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের জন্য বিশেষ প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়। পুঁজিবাজারের উন্নয়নে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। সংশ্লিষ্ট বেশ কিছু আইন সংশোধন এবং নতুন আইন প্রণয়ন করা হয় বলে বিএসইসি সূত্রে জানা যায়।তিন দিনের অবরোধ কর্মসূচিতে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর নেতা-কর্মীদের অংশগ্রহণে উজ্জীবিত ১৮-দলীয় জোট। ক্ষমতাসীন দলকে কাবু করতে সার্বিক পরিস্থিতি সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে নিতে চায় তারা। এ জন্য টানা কর্মসূচিতে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিরোধী দল।একই সঙ্গে শান্তিপূর্ণ উপায়ে সংকট নিরসনের শেষ প্রচেষ্টা হিসেবে জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব অস্কার ফার্নান্দেজ তারানকো কোনো উদ্যোগ নেন কি না, সেটাও দেখার অপেক্ষায় রয়েছে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি। তিনি আগামী ৬ ডিসেম্বর ঢাকায় আসছেন।টানা তিন দিনের রাজপথ, রেলপথ ও নৌপথ অবরোধ কর্মসূচি শেষে আজ শুক্রবার জুমার নামাজের পর সারা দেশে গায়েবানা জানাজা কর্মসূচি দিয়েছে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮-দলীয় জোট। কেন্দ্রীয়ভাবে এই কর্মসূচি ঢাকার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পালিত হবে। গায়েবানা জানাজায় সরকার বাধা দিলে এবং সে কারণে কোনো সহিংসতার সৃষ্টি হলে আগামীকাল শনিবার থেকে আবার হরতাল বা অবরোধের কর্মসূচি দেওয়ার চিন্তা রয়েছে বলে জোটের একাধিক সূত্র থেকে জানা গেছে। অন্যথায় রোববার থেকে আবার টানা কর্মসূচি শুরুর আশঙ্কা রয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির শীর্ষস্থানীয় একজন নেতা প্রথম আলোকে বলেন, তাঁদের লক্ষ্য আন্দোলন এমন পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া যেন পরিস্থিতি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। নির্বাচন উপলক্ষে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েনের আগেই বিএনপি এই লক্ষ্যে পৌঁছাতে চায়।দলটির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য বলেন, আন্দোলন অব্যাহত থাকলে নেতা-কর্মীরা কম গ্রেপ্তার হন। কেননা তখন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আন্দোলন মোকাবিলায় বেশি ব্যস্ত থাকে। আন্দোলনে ঢিলা দিলেই গ্রেপ্তার অভিযান বেড়ে যায়।বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী দাবি করেন, জনগণ পথে পথে দুর্ভেদ্য অবরোধ গড়ে তুলেছে। সরকার তাদের দমনে সব চেষ্টাই করেছে। সফল হতে পারেনি। আরও কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে একতরফা নির্বাচন থেকে সরে আসতে বাধ্য করা হবে।এদিকে নির্দলীয় সরকারের অধীন নির্বাচনের দাবি ও একতরফা নির্বাচন প্রতিহত করার আন্দোলনের পাশাপাশি আলোচনার মাধ্যমে রাজনৈতিক সংকট নিরসনের চেষ্টাও অব্যাহত রাখবে বিরোধী দল। জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব অস্কার ফার্নান্দেজ আগামী ৬ ডিসেম্বর আবার ঢাকায় আসছেন। প্রধানমন্ত্রী, বিরোধীদলীয় নেতাসহ বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিদের সঙ্গে তাঁর বৈঠক করার কথা রয়েছে। এজন্য বিএনপির নেতারা তাঁদের বক্তব্য প্রস্তুত করছেন বলে জানা গেছে।জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মাহবুবুর রহমান বলেন, জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিবের কাছে বিএনপি রাজনৈতিক পরিস্থিতি তুলে ধরবে। একই সঙ্গে জাতিসংঘের পক্ষ থেকে সংকট সমাধানের উদ্যোগ নেওয়ার কথাও বলবেন বিএনপির নেতারা।সম্প্রতি মায়ামিতে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে প্যারিস হিলটনের ছোট ভাই ব্যারন হিলটনকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়। ব্যারনকে মারধরের ঘটনার ইন্ধনদাতা হিসেবে অভিযোগের আঙুল উঠেছে বিতর্কিত হলিউডের অভিনেত্রী লিন্ডসে লোহানের দিকে। এর পরিপ্রেক্ষিতে লিন্ডসেকে চরম মূল্য দিতে হবে বলে শাসিয়েছেন ৩২ বছর বয়সী মার্কিন মডেল, অভিনেত্রী ও ধনাঢ্য ব্যবসায়ী প্যারিস হিলটন....বিস্তারিত
সুলতানা কামালের জন্ম ঢাকায়, ১৯৫০ সালে। ১৯৭১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন ১৯৭৮ সালে। ১৯৮১ সালে হল্যান্ডে ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজে স্নাতকোত্তর পর্যায়ে পড়াশোনার পর কিছু সময় শিক্ষকতা ও জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনে আইনি পরামর্শক হিসেবে কাজ করেন। তারপর স্বেচ্ছাসেবী মানবাধিকারকর্মী হিসেবে কাজ শুরু করেন। ২০০৬ সালে ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদের নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে এক মাসের কিছু বেশি সময় দায়িত্ব পালনের পর পদত্যাগ করেন। বেসরকারি মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারপারসনের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মশিউল আলমপ্রথম আলো  ‘বাংলাদেশ রুখে দাঁড়াও’ স্লোগানে আপনারা একটা আন্দোলন শুরু করেছেন। আপনাদের এই আন্দোলনের লক্ষ্য কী?সুলতানা কামাল  আমরা যাঁরা এই আন্দোলন শুরু করেছি, তাঁরা সবাই একমত হয়েছি যে বাংলাদেশকে আমরা দেখতে চাই একটি অসাম্প্রদায়িক, ধর্মনিরপেক্ষ; মৌলবাদ-জঙ্গিবাদ ও সহিংসতা থেকে মুক্ত গণতান্ত্রিক, মানবাধিকারবোধ-সম্পন্ন একটি দেশ হিসেবে। এ জন্য আমরা সেই ১৯৫২ সাল থেকে আন্দোলন করে এসেছি, যেটার চূড়ান্ত রূপ আমরা দিয়েছি এবং অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে। মুক্তিযুদ্ধ শুরু করার অনেক আগে থেকেই আমাদের মনের মধ্যে কিন্তু বাংলাদেশের একটা রূপরেখা ছিল। সেই রূপরেখায় ব্যত্যয়হীনভাবে সব সময় এই প্রত্যয় রয়ে গেছে যে বাংলাদেশ হবে জাতি-ধর্ম-বর্ণ-লিঙ্গনির্বিশেষে সব মানুষের বাসস্থান। একই সঙ্গে সেই রূপরেখায় আমরা ধর্মভিত্তিক জাতীয়তাবাদকে স্পষ্টভাবে প্রত্যাখ্যান করেছি। এবং আমরা বলেছি যে এই দেশে এমন একটি শাসনব্যবস্থা থাকবে, যেখানে জনগণের দ্বারা নির্বাচিত প্রতিনিধিরা এই দেশ পরিচালনা করবেন, সেখানে সামরিকতন্ত্রের কোনো সুযোগ থাকবে না।প্রথম আলো  এসব বিষয় আমাদের জানা আছে, এগুলো নতুন নয়। কিন্তু আপনাদের এই আন্দোলনটা নতুন; আপনারা এ মুহূর্তে এটা শুরু করার প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করলেন কেন?সুলতানা কামাল  আমাদের এই আন্দোলন সম্প্রতি শুরু হলেও এর ভিত্তি বা পটভূমি মুক্তিযুদ্ধেরও আগের। ছয় দফা, এগারো দফাসহ যে রাজনৈতিক ইশতেহারগুলো ছিল, সেসবের মধ্যে আমাদের এই কথাগুলোর প্রতিফলন ছিল। সেসব স্বপ্ন ও দাবিদাওয়ার ভিত্তিতে সত্তরের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিপুল বিজয়ের মধ্য দিয়েও আমাদের এই বিশ্বাস দৃঢ়তর হয় যে দেশের মানুষ এ রকম একটা বাংলাদেশ চেয়েছে। এমনকি সেই স্বপ্নের বাংলাদেশ পাওয়ার জন্য মানুষ একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে লড়াই করেছে।প্রথম আলো  মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের মধ্য দিয়ে আমরা তো একটা স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ পেয়েছি এবং তারপর চার দশকেরও বেশি সময় পেরিয়ে গেছে। এখন কেন আপনাদের আবার মুক্তিযুদ্ধেরও আগের সময়ের স্বপ্ন-আদর্শের জন্য আন্দোলন শুরু করতে হচ্ছে?সুলতানা কামাল  আমার বিবেচনায়, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ কখনোই একটা ভৌগোলিক দখলদারত্বের বিষয় ছিল না। আমরা ভূখণ্ডগত স্বাধীনতার সঙ্গে সঙ্গে মুক্তিরও স্বপ্ন দেখেছিলাম। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণেও সেই কথাটা ছিল: এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। আমরা আমাদের যুদ্ধটার নামও দিয়েছিলাম মুক্তিযুদ্ধ। আমরা মুক্তি চেয়েছিলাম সব ধরনের বৈষম্য থেকে, অন্যায় থেকে, দুঃখ-দুর্দশা থেকে। আমাদের স্বপ্ন ছিল যে এই দেশে কোনো দুঃখী মানুষ থাকবে না, সব মানুষের মুখে হাসি ফুটবে। অর্থাৎ সম্পদের সুষম বণ্টনের কথাটাও কিন্তু আমরা একই সঙ্গে উচ্চারণ করেছিলাম...।প্রথম আলো  অর্থাৎ আপনাদের কাঙ্ক্ষিত সেই বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা পায়নি। কিন্তু আপনাদের এখনকার আন্দোলনের ১ নম্বর দাবি জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে। এটা কেন? এ দুইয়ের মধ্যে সম্পর্ক কী?সুলতানা কামাল  সম্পর্কটা হচ্ছে যে ধর্মনিরপেক্ষ, অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছি, তেমন একটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পথে জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি বাধা সৃষ্টি করে এসেছে। তাদের রাজনৈতিক আদর্শ ও বিশ্বাস ধর্মভিত্তিক...প্রথম আলো  গণতান্ত্রিক দেশে বিভিন্ন ধরনের রাজনৈতিক আদর্শ থাকবে। ধর্মভিত্তিক আদর্শে সমস্যা বা অন্যায় কী আছে?সুলতানা কামাল  তারা তাদের রাজনৈতিক আদর্শ বা বিশ্বাস প্রতিষ্ঠা করার জন্য ধর্মকে ব্যবহার করছে। তাদের লক্ষ্যই হচ্ছে ধর্মভিত্তিক জাতীয়তাবাদ প্রতিষ্ঠা করা। শুধু তা-ই নয়; তারা যে রাজনৈতিকভাবে অহিংস পদ্ধতিতে তাদের লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যেতে চেয়েছে, তা কিন্তু নয়। তারা তাদের রাজনৈতিক বিশ্বাস এ দেশের মানুষের ওপর চাপিয়ে দিতে চেয়েছে জোর করে, সহিংস পদ্ধতিতে। এবং তা করে এসেছে মুক্তিযুদ্ধেরও আগে থেকে। তখন তাদের ছাত্রসংগঠনের নাম ছাত্রশিবির ছিল না, ছাত্র সংঘ ছিল। তখন জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্র সংঘ মুক্তিযুদ্ধের আগে প্রগতিশীল দল ও সংগঠনগুলোর ওপর হামলা করেছে, যেটার সাক্ষী আমরা সবাই। যারা উনসত্তরের গণ-আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিল, প্রগতিশীল, ধর্মনিরপেক্ষ রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিল, বাম ধারার সমাজতান্ত্রিক রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিল, তারা সবাই জামায়াত-ছাত্র সংঘের আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু হিসেবে চিহ্নিত ছিল এবং আক্রান্ত হতো।প্রথম আলো  আপনাদের আপত্তি জামায়াতের এই সহিংস পদ্ধতি নিয়ে?সুলতানা কামাল  মুক্তিযুদ্ধের সময় তারা প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়ে সংঘবদ্ধভাবে সহিংসতায় নেমেছিল। তারা সাংগঠনিকভাবে মুক্তিযুদ্ধে বিরোধিতা তো করেছেই, তাদের সেই বিরোধিতার পদ্ধতিও ছিল সহিংস। জামায়াতে ইসলামী একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছে এবং জামায়াতে ইসলামীর সদস্যরা নিরীহ-নিরস্ত্র মানুষের ওপর অত্যাচার-নির্যাতনের নেতৃত্ব দিয়েছেন। তাঁদের নেতা গোলাম আযম একাত্তরের ২৫ মার্চ রাতের গণহত্যার পরে সেই গণহত্যার মূল হোতা টিক্কা খানের সঙ্গে বসে বৈঠক করেছেন এবং বলেছেন যে পাকিস্তানের অখণ্ডতা রক্ষা করার দায়িত্ব তাঁরা নিলেন এবং সেটার জন্য যেকোনো কৌশল তাঁরা অবলম্বন করবেন। সেই কৌশলের অংশ হিসেবে মে মাসের মধ্যে তাঁরা শান্তি কমিটি ও রাজাকার বাহিনী গঠন করলেন। তাঁদের সে সময়ের অনেক বক্তৃতা-বিবৃতি থেকে বেরিয়ে এসেছে যে তাঁরা ঘাতক দল গঠন করেছিলেন। সেই ঘাতক দলের কাজ ছিল এ দেশের মানুষের ওপর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হত্যা, ধর্ষণ, লুট, অগ্নিসংযোগসহ নৃশংস, নিকৃষ্ট অপরাধগুলো সংঘটনে প্রত্যক্ষভাবে সহযোগিতা করা। আলবদরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল মতিউর রহমান নিজামীকে। আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ ও কামারুজ্জামানের এলাকার লোকজনও সাক্ষ্য দেন যে তাঁরা এই সমস্ত অপরাধকর্মে লিপ্ত ছিলেন। শুধু হানাদারদের সহযোগিতা করাই নয়, তাঁরা নিজেরাও ওই সব নৃশংস-নিকৃষ্ট অপরাধগুলোর সঙ্গে লিপ্ত ছিলেন। তাঁদের এই সমস্ত অপরাধের সাক্ষ্য-প্রমাণ লিপিবদ্ধ রয়েছে রাজাকার গেজেট, আলবদর গেজেট, তাঁদের নিজেদের পত্রপত্রিকা ও অন্যান্য প্রকাশনায় এবং আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে।প্রথম আলো  এসবের জন্য তো তাঁদের বিচার করা হচ্ছে, ট্রাইব্যুনালের রায়ে বেশ কয়েকজনের সাজাও ঘোষিত হয়েছে। এভাবে আইনি প্রক্রিয়াতেই তো তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলোর প্রতিকার হতে পারে। এর বাইরে আপনারা আর কী চান?সুলতানা কামাল  তাঁদের বিরুদ্ধে আমাদের রাজনৈতিকভাবেও রুখে দাঁড়াতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাভিত্তিক রাজনীতিকে আমাদের দেশে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করতে হবে। মুক্তিযুদ্ধে তাঁদের পরাজয় ঘটার পর তাঁরা পালিয়ে কিংবা আত্মগোপন করে থাকলেন, কিন্তু তাঁদের কাজ কখনো থেমে থাকেনি, তাঁরা তা চালিয়ে গেছেন। আর পঁচাত্তর-পরবর্তী তখনকার শাসক দল দ্বারা তাঁরা রাজনৈতিকভাবে পুনঃ প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন এবং আবার সেই পুরোনো সহিংস পদ্ধতিতে অগ্রসর হয়েছেন। সহিংসতাকে তাঁরা একটি নীতি হিসেবে গ্রহণ করেছেন; পঁচাত্তরের পর থেকে এখন পর্যন্ত তাঁদের হাতে কত মানুষ নিহত হয়েছে, তারও একটা হিসাব আমাদের নেওয়া উচিত।প্রথম আলো  কিন্তু একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করার যে দাবিতে আপনারা সোচ্চার হয়েছেন, সেটার যুক্তি কী? ধর্মভিত্তিক দল তো আরও আছে এবং শুধু এ দেশে নয়, ভারতের মতো ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক দেশেও বিজেপি, শিবসেনা, বজরং দলের মতো উগ্র ধর্মভিত্তিক দল আছে...সুলতানা কামাল  জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবির পেছনে যে যুক্তি আছে, সেটার বাস্তবতা কিন্তু আদালতের বক্তব্যের মাধ্যমেও কিছুটা বেরিয়ে এসেছে। আদালতে বলা হয়েছে, জামায়াত যেহেতু দল হিসেবে মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিল এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল, সেহেতু দল হিসেবে জামায়াতের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে। আমরা বলি, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী জামায়াতে ইসলামী স্বাধীন বাংলাদেশের অস্তিত্বেরই বিরোধী, সংবিধানের বিরোধী একটি দল। যে দল বাংলাদেশকে রাষ্ট্র হিসেবেই মানতে পারে না, এ দেশের মাটিতে তারা রাজনীতি করার অধিকার কেন পাবে? এটা ছাড়াও, একাত্তরে তাদের মানবতাবিরোধী অপরাধের মধ্যে যে সহিংসতা ছিল, সেটাই আসলে জামায়াতের পদ্ধতি। তারা নীতিগতভাবেই রাজনীতির সহিংস পথ, জবরদস্তির পথ বেছে নিয়েছে। উপরন্তু তারা ধর্মের নামে সহিংসতা করছে, ধর্মের অপব্যাখ্যা দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে, তারা মসজিদকে ব্যবহার করছে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য সাধনের লক্ষ্যে। এই সহিংস, ধর্মের অপব্যাখ্যাকারী, দেশবিরোধী রাজনৈতিক দলকে অবশ্যই নিষিদ্ধ করতে হবে।প্রথম আলো  কিন্তু নিষিদ্ধ করলে জামায়াত যদি আরও সহিংস হয়ে ওঠে? তাদের সহিংসতায় যদি পাকিস্তানি মাত্রা যুক্ত হয়?সুলতানা কামাল  জামায়াতের যতটা সামর্থ্য, ততটা সহিংসতা তো এখনই তারা করছে প্রকাশ্যেই। ওদের আন্ডারগ্রাউন্ডে চলে যাওয়া, আরও বেশি সহিংস হয়ে ওঠার শঙ্কা থেকে আমরা যদি বলি, ওরা যেভাবে চলছে চলুক, নিষিদ্ধ করার প্রয়োজন নেই, তাহলে তো ওদের এসব মেনে নেওয়া হয়। কিন্তু এটা তো মেনে নেওয়া যায় না। জামায়াতের রাজনীতি আনুষ্ঠানিকভাবে নিষিদ্ধ হলে তারা দেশে ও সমাজে একটা বেআইনি, অবৈধ শক্তি হিসেবে চিহ্নিত হবে। তখন তারা সামাজিকভাবে পুরোপুরি পরিত্যক্ত হবে। গোপনে আরও সহিংস পন্থা অবলম্বন করলে তারা আরও জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে। বাংলাদেশের সমাজে সহিংস রাজনৈতিক শক্তি কখনোই গ্রহণযোগ্যতা পায়নি, জামায়াতও পাবে না।প্রথম আলো  আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।সুলতানা কামাল  ধন্যবাদ প্রথম আলোকেও।জন্মভূমি ব্রাজিল না স্পেন? শেষ পর্যন্ত জন্মভূমিকে ছেড়ে স্পেনকেই বেছে নিলেন ডিয়েগো কস্তা। ব্রাজিলীয় ফুটবল ফেডারেশনের মহাসচিবকে চিঠি দিয়ে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ ফরোয়ার্ড নিশ্চিত করেছেন, স্পেন জাতীয় ফুটবল দলের হয়েই খেলতে চান তিনি। আজ স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশনের ওয়েবসাইটে এ খবর জানানো হয়েছে।কস্তার জন্ম ব্রাজিলে, বেড়ে ওঠাও সেখানে। হলুদ-নীল জার্সি গায়ে দুটি ম্যাচও খেলেছেন। কিন্তু স্পেনের নাগরিকত্ব পাওয়ার পরই কস্তা আভাস দেন, খেলতে চান লা রোজাদের হয়ে। শেষ পর্যন্ত সেটাই সত্যি হতে চলেছে। কস্তা স্পেনের হয়ে এখনই খেলতে পারছেন না নিয়মতান্ত্রিক কিছু জটিলতার কারণে। তবে সুযোগটা যে শিগগিরই আসবে, সেটা নিশ্চিত। তবে ২৫ বছর বয়সী কস্তাকে নিয়ে ব্রাজিল ও স্পেনের মধ্যে টানাটানি থেমে নেই।নাড়ির টান ভুলে ডিয়েগো কস্তা যখন স্পেনের হয়ে খেলার পরিকল্পনা নিচ্ছেন, সেই সময় তাঁর জন্মভূমি ব্রাজিল বেঁকে বসেছে। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা স্ট্রাইকারকে কে হারাতে চায়? ব্রাজিলে জন্মানো কস্তার স্পেনের হয়ে খেলার আনুষ্ঠানিক আবেদন ফিফার কাছে পৌঁছানোর পরও গত সপ্তাহে তাঁকে ব্রাজিল দলে রাখেন লুইস ফেলিপে স্কলারি।ব্রাজিলের হয়ে সুযোগ পাচ্ছিলেন না বলেই কস্তা স্পেনকেই বেছে নেন। লা লিগার এবারের মৌসুমে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ গোলদাতা (১০ ম্যাচে ১১ গোল) কস্তা স্পেন কোচ ভিসেন্তে দেল বস্ককে জানিয়ে রেখেছেন, স্পেনের হয়ে খেলতে তিনি প্রস্তুত। তবে বেঁকে বসেছে ব্রাজিল। স্কলারি এর আগে স্পষ্ট জানিয়ে দেন, ব্রাজিলের কোচ হিসেবে ব্রাজিলের যেকোনো খেলোয়াড়কে দলে নেওয়ার আইনগত অধিকার তাঁর আছে। কথাটা যে এমনি এমনি বলেননি, সেটাই স্কলারি বুঝিয়ে দিয়েছেন ব্রাজিলের পরবর্তী দুটো প্রীতি ম্যাচে কস্তাকে দলে রেখে। আগামী ১৬ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে হন্ডুরাসের বিপক্ষে খেলবে ব্রাজিল। তিন দিন পর কানাডায় খেলবে চিলির বিপক্ষে। ব্রাজিলীয় ফুটবল ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট হোসে মারিও মারিনও জানিয়ে দিয়েছেন, কস্তা যেন স্পেনের হয়ে খেলতে না পারে, এ জন্য আইনগত সব ধরনের পদক্ষেপই নেবে ব্রাজিল।স্ট্রাইকার-সংকটে ভুগতে থাকা দেল বস্ক নিশ্চয়ই খুশি হবেন কস্তাকে দলে পেলে। কিন্তু স্পেনের মতো স্ট্রাইকার-সংকটে না থাকলেও ব্রাজিল কেন তাদের এই অস্ত্রকে হাতছাড়া করবে? কেন সেই অস্ত্রকে তুলে দেবে আগামী বিশ্বকাপে তাদের সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বী স্পেনের হাতে? নিজের অবস্থানটা অবশ্য জানিয়ে দিয়েছেন কস্তা। এখন দেখার অপেক্ষা, ব্রাজিল তাঁর মতের বাইরে তাঁকে ধরে রাখতে পারে কি না। সূত্র: রয়টার্সসাবেক প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ার-পারসনের উপদেষ্টা মীর মোহাম্মদ নাছির-উদ্দিনকে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত নয়টার দিকে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় যাওয়ার প্রস্তুতি নেওয়ার সময় অভিবাসন পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে।পুলিশ সূত্র জানায়, বুধবার চট্টগ্রাম নগরের আলমাস সিনেমা হলের সামনে সিএনজিচালিত একটি অটোরিকশায় আগুন দেওয়ার ঘটনায় দুজন অগ্নিদগ্ধ হন। এ ঘটনায় চকবাজার থানায় মামলা করা হয়। এ ছাড়া একই দিন কাজীর দেউরীর নাসিমন ভবনের সামনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করা হয়। এ দুই মামলায় মীর নাছিরকে আসামি করা হয়।চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অভিবাসন পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘ঢাকায় যাওয়ার প্রস্তুতি নেওয়ার সময় তাঁকে (মীর নাছির) গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক ঘটনায় দুটি মামলা রয়েছে।’এ দুই মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে বলে এডিসি মিজানুর রহমান জানান।চট্টগ্রাম নগর: বুধবারের মতো গতকাল নগরের প্রবেশপথগুলোতে অবরোধ-সমর্থকদের তৎপরতা ছিল না। তবে সকালের দিকে নগরের বায়েজিদ সড়কে সিএনজিচালিত একটি অটোরিকশায় আগুন দেন অবরোধকারীরা।এদিকে গতকালও সারা দেশ থেকে চট্টগ্রাম কার্যত বিচ্ছিন্ন ছিল। চট্টগ্রাম থেকে দূরপাল্লার কোনো বাস ছেড়ে যায়নি। কোনো গাড়িও প্রবেশ করেনি। তবে নগরে গণপরিবহন চলাচল করেছে।গতকাল সকালে চট্টগ্রাম স্টেশন থেকে সুবর্ণ ও মহানগর প্রভাতী ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। তবে ট্রেনগুলো মাঝপথে আটকা পড়েছে বলে রেলের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে জানা গেছে। একইভাবে ঢাকা থেকে বুধবার রাতে ছেড়ে আসা তূর্ণা নিশীথা গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত চট্টগ্রামে পৌঁছেনি। এটি কুমিল্লার লাকসামের কাছে আটকা পড়েছে বলে রেলওয়ে সূত্র জানায়।একবার এই মায়াভরা পৃথিবী ছেড়ে গেলে আর ফিরতে পারবেন না জেনেও দুই লাখের বেশি মানুষ মঙ্গলগ্রহে পাড়ি জমাতে চান। মঙ্গলগ্রহে মানুষ পাঠানোর এ আয়োজন করেছে নেদারল্যান্ডসের একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান মার্স ওয়ান। দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে মঙ্গলযাত্রার এই কাজ। সিএনএন এক খবরে এ তথ্য জানিয়েছে....বিস্তারিত
মিরপুরের পাইকপাড়ার ছয় বছরের একটি শিশু ধর্ষণের শিকার হয় ২০ সেপ্টেম্বর শুক্রবার। পরদিন মিরপুর মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০-এর (সংশোধনী ২০০৩) ৯-এর ১ ধারায় শিশুটির মা মামলা করেন। তবে ওই ঘটনায় এখন পর্যন্ত আসামি ধরা পড়েনি।শিশুটি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) চিকিৎসাধীন। শিশুর মা জানিয়েছেন, ধর্ষণের শিকার হওয়ার পর তাঁর মেয়ে সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারছিল না। তার পায়খানার রাস্তা ফুলে গেছে।শিশুর পক্ষে মামলাতে সহায়তা দিচ্ছে বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতি। সমিতির পরিচালক রেহানা সুলতানা বলেন, শিশুর অবস্থা আস্তে আস্তে ভালো হচ্ছে। তবে তার ভয় কাটেনি।এ পরিবারকে বিভিন্নভাবে সহায়তা দিতে এগিয়ে এসেছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের আহমেদনগর পাইকপাড়া কমিটি। তবে দুটি সংগঠনের সহায়তা পাওয়ার পরও আসামিকে ধরতে পারেনি পুলিশ। মিরপুর মডেল থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা আতিকুর রহমান বলেন, রোববার (আজ) আদালতে শিশুটির জবানবন্দি নেওয়া হবে। একাধিকবার এলাকায় গিয়েও আসামিকে পাওয়া যায়নি বলে জানান এ কর্মকর্তা। তবে শিশুর পরিবার বলছে, আসামি সোহেল (২৬) পলাতক থাকলেও তাঁর পরিবার এলাকাতেই আছে। পরিবার এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার পাঁয়তারা করলেও পুলিশ এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। শিশুর বাবা মিরপুরে বাস চালান। আসামি তাঁদের পাশাপাশি টিনের ঘরে থাকতেন। শিশুটির মা দুপুরে পাশের বাড়ি থেকে পানি আনতে যান। তখন সোহেল শিশুটিকে ধর্ষণ করেন।শিশুটির মা বলেন, ‘পানি আনার পর দেখি কোনো সাড়াশব্দ নাই। ভাবছি মাইয়্যা আমার ঘুমাইয়া পড়ছে। কিন্তু মায়ের মন, তাই আবার ঘরে উঁকি দিই। দেখি মাইয়্যা নাই। ডাকাডাকি করে এলাকায় খুঁজতে থাকি। একসময় মাইয়্যা ঘর থেইক্যা জবাব দেয়। কাছে গিয়া দেখি মাইয়্যার পায়জামা ছিড়া। তারপর বটি হাতে লইয়্যা মা ও মাইয়্যা একসঙ্গে মরতে যাই। তখন এলাকার লোকজন জানাজানি হইব বইল্যা চুপ করতে কয়।’সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাসার আল-আসাদ বলেছেন, শান্তি আলোচনা সফল হওয়ার অন্যতম শর্ত হলো বিদ্রোহীদের সব ধরনের সহায়তা দেওয়া বন্ধ করা।রয়টার্স জানায়, প্রেসিডেন্ট আসাদ আজ বুধবার জাতিসংঘের প্রতিনিধি লাখদার ব্রাহিমির সঙ্গে সাক্ষাত্কালে বলেন, সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ অবসানে আলোচনা কেবল তখনই সফল হতে পারে, যখন বিদেশি শক্তিগুলো সরকার উত্খাতে যুদ্ধরত বিদ্রোহীদের সাহায্য দেওয়া বন্ধ করবে।ঝিমিয়ে পড়া শান্তি আলোচনাকে বেগবান করার লক্ষ্যে সিরিয়ার কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করতে ব্রাহিমি এখন দামেস্কে অবস্থান করছেন।দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রচারিত খবরে আসাদকে উদ্ধৃত করা বলা হয়, তিনি ব্রাহিমিকে বলেছেন, ‘যেকোনো রাজনৈতিক সমাধানের সাফল্য নির্ভর করছে পৃষ্ঠপোষক রাষ্ট্রগুলো থেকে সন্ত্রাসী দলগুলোকে সাহায্য দেওয়া বন্ধ করা ও চাপ সৃষ্টি করা।’সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ অবসানে সামনের মাসে জেনেভায় দ্বিতীয় দফার মতো আলোচনা শুরু হতে যাচ্ছে। এখন পর্যন্ত সম্ভাব্য তারিখ ২৩ নভেম্বর। দেশটির গৃহযুদ্ধে এখন পর্যন্ত প্রায় এক লাখ মানুষ প্রাণ হারিয়েছে।সম্প্রতি ব্রাহিমি যে বক্তব্যে দিয়েছেন, তাতে ভীষণ চটে গেছে বিদ্রোহী দলগুলো। ব্রাহিমি বলেছিলেন, আসাদের অন্যতম সমর্থক রাষ্ট্র ইরানকেও জেনেভার শান্তি আলোচনায় যুক্ত করা আবশ্যক। বিদ্রোহীরা দাবি করছে, যেকোনো শান্তিপূর্ণ সমাধানের প্রথম শর্ত হলো আসাদের পদত্যাগ।তবে সিরিয়া ও ইরানের সরকার বলেছে, শান্তি আলোচনার জন্য তারা কোনো পূর্বশর্ত দেবে না। আসাদ বলেছেন, সিরিয়ার ভবিষ্যত্ নির্ধারণের পূর্ণ কর্তৃত্ব সিরিয়ার জনগণের।সিরিয়াতে নিযুক্ত ইরানি রাষ্ট্রদূত রিজা শিবানি আজ প্রতিবেদকদের বলেছেন, জেনেভা আলোচনায় অংশ নিতে প্রস্তুত রয়েছে তাঁর দেশ। তিনি বলেন, ‘সবাই খুব ভালো করেই জানে, সিরিয়া সংকটের রাজনৈতিক সমাধানে ইরানের ভূমিকা ইতিবাচক। ইরান যদি আলোচনা থেকে সরে থাকে, তাতে কারও মঙ্গল হবে না।’কিছুদিন আগে একটা রেস্তোরাঁ খুলেছেন একসময়ের সতীর্থ গ্যারি নেভিলের সঙ্গে। ভেবেছিলেন, জুন থেকে সেখানে সময় দেবেন। আর ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কোচিং স্টাফে তো আগেই যোগ দিয়েছিলেন। বুটজোড়া তুলে রাখার পর সেটাই হয়তো হতে পারত ধ্যানজ্ঞান। আপাতত এসব পরিকল্পনা-টল্পনা একদিকে সরিয়ে রাখতে হচ্ছে রায়ান গিগসকে। আজ ৪০ পুরো হচ্ছে ইউনাইটেড কিংবদন্তির, কিন্তু তাঁর ভাবনার চৌহদ্দিতে অবসর বলে কোনো শব্দ নেই। অন্তত পরশু চ্যাম্পিয়নস লিগে যেমন খেলেছেন, তাতে আরও কিছুদিন খেলা চালিয়ে যাওয়ার কথা গিগস ভাবতেই পারেন!গিগস সরবেই বলে যাচ্ছেন, চল্লিশে চালশে সবার পড়ে না। পরশু লেভারকুসেনের সঙ্গে দুর্দান্ত গিগসকে দেখলে কে বলতে পারত তাঁর বয়স ৪০ পুরো হবে আজ। গোল না পেলেও তরুণ জোন্স-রুনিদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দাপিয়ে বেড়িয়েছেন পুরো মাঠ। কোচ ডেভিড ময়েস ম্যাচ শেষে বলে ফেলেছেন, ‘তাকে নিয়ে আমি এটাই বলতে পারি, ৪০ বছর বয়সীর মতো সে খেলে না। তাকে দেখলে মনেও হয় না তার বয়স ৪০। সে অসাধারণ এক খেলোয়াড়। তাকে স্টাফ হিসেবে পাওয়াটা আমার সৌভাগ্য। খেলোয়াড় হিসেবে পাওয়া তো বটেই। এখানে আসার পর ওকে আমি নতুনভাবে দেখছি। সে কতটা ভালো সেটা দেখেছি। এটা আসলেই অবিশ্বাস্য।’জন্মদিনে অতীতের আয়নায় নিজেকে দেখলে গিগস স্মৃতিমেদুর হতেই পারেন। ২ মার্চ, ১৯৯১ সালে এভারটনের বিপক্ষে যখন তাঁর ইউনাইটেড অভিষেক, তখনো এই দলের জোন্স-ইয়ানুজাইদের জন্মই হয়নি। লেফট উইঙ্গার হিসেবে বছরের পর বছর বিভীষিকা ছড়িয়েছেন প্রতিপক্ষ রক্ষণে। দুর্দান্ত গতি, তীক্ষ বাঁ পা—নিজের সেরা সময়ে গিগস ছিলেন প্রিমিয়ার লিগের সেরাদের একজন। সবচেয়ে বড় কথা, বছরের পর বছর খেলে গেছেন অনন্য ধারাবাহিকতায়, দলের প্রতি প্রশ্নাতীত আনুগত্যে। ইউনাইটেডের হয়ে রেকর্ড ৯৫৩টি ম্যাচ খেলেছেন, আছে সম্ভাব্য সব অর্জনই। ক্যারিয়ারে শুধু ইংলিশ লিগই জিতেছেন ১৩ বার, যা আর্সেনালের শিরোপার সমান!বয়সের সঙ্গে গতি কমেছে, তবে ক্ষুরধার ফুটবল-মস্তিষ্ক যেন আরও শাণিত হয়েছে। উইং থেকে সরে এখন খেলেন মধ্যমাঠে। কিন্তু একসময় তো সবাইকেই থামতে হয়। গিগস অবশ্য কদিন আগেই দেওয়া সাক্ষাৎকারে অবসর পরিকল্পনার কোনো আভাস দেননি, ‘হয়তো দলের জন্য আমি আরও অবদান রাখতে পারব। সেটা মৌসুম শেষ হলেই বোঝা যাবে। আর ৪০ হয়ে গেছে মানেই সবকিছু শেষ, ব্যাপারটা এমন নয়।’সমসাময়িকদের প্রায় সবাই এখন ব্যস্ত খেলোয়াড়-পরবর্তী ক্যারিয়ারে। জানেত্তি, টট্টিদের মতো আর কজনই বা এখনো বিরুদ্ধ স্রোতে সাঁতরাচ্ছেন? আজ গিগসের জন্মদিন তাই প্রেরণা হতে পারে সেসব ফুটবলারের জন্য, বয়সকে যাঁরা নিতে পারেন স্রেফ একটা সংখ্যা হিসেবে। এএফপি, ওয়েবসাইট।সিরাজগঞ্জের সদর উপজেলার বহুলী বাজার এলাকায় আজ সোমবার ১৮-দলীয় জোটের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় গুলিবিদ্ধ এক পথচারী শিশু নিহত হয়েছে। পুলিশসহ কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছে....বিস্তারিত
ঢাকায় জলভাগের তুলনায় ১৯৬০ সালে নগরায়িত স্থলভাগের পরিমাণ ছিল পাঁচ গুণ বেশি। কিন্তু ৪০ বছর পর জলভাগের অনুপাত চার গুণ কমে যায়। এখন জলভাগের পরিমাণ আরও কম। গতকাল শনিবার রাজধানীতে এক সেমিনারে গবেষকেরা বলেছেন, নগরের জলাধার এভাবে শুধু কমেইনি, এর দূষণ অর্থনীতির ওপর হুমকি সৃষ্টি করছে। ২০১২ সালের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) সাত হাজার ৩৬৫ কোটি টাকার সমপরিমাণ অর্থ নষ্ট হয়েছে ঢাকার পানিদূষণের কারণে। বুয়েট মিলনায়তনে অ্যাসোসিয়েশন অব বুয়েট অ্যালামনাই আয়োজিত ঢাকা ও এর আশপাশের জলাশয় রক্ষায় দিনব্যাপী সেমিনারে পানি বিশেষজ্ঞ, পরিবেশবিদ, রাজনীতিক ও নগরবিদেরা বলেন, এভাবে দূষণ চলতে থাকলে ঢাকা বসবাসের অযোগ্য একটি নগরে পরিণত হবে। উদ্বোধনী অধিবেশনে এই দূষণের ভয়াবহ পরিস্থিতি তুলে ধরে এর জন্য বিভিন্ন সময়ের সরকারকেই দুষলেন প্রধান অতিথি অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ। তিনি বলেন, লুণ্ঠনের বড় জায়গা হলো নদী। সরকারের সবচেয়ে দুর্বৃত্ত ও দুষ্ট লোকদের হাতে নদী রক্ষার দায়িত্ব রয়েছে। উদ্বোধনী অধিবেশনে অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী বলেন, যে হারে নদীদূষণ চলছে, এভাবে আরও দুই দশক চললে ঢাকা পুরোপুরি বসবাসের অযোগ্য হয়ে যাবে। কিন্তু দূষণ রোধে সরকারের সদিচ্ছা দেখা যাচ্ছে না। উদ্বোধনী অধিবেশনে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) সাধারণ সম্পাদক আবদুল মতিন। এরপর দুটি কারিগরি অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। প্রথমটির আলোচকদের মধ্যে বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মুজিবুর রহমান ঢাকার নদীদূষণের বিপুল পরিমাণ অর্থনৈতিক ক্ষতির চিত্র তুলে ধরেন। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের সাধারণ সম্পাদক কে এম আনসার হোসেন বলেন, ঢাকা বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা (ড্যাপ) পাস হওয়ার পর ঢাকার বন্যাপ্রবাহ অঞ্চলে দখলের পরিমাণ বেড়েছে। তিনি এমন ছয়টি অঞ্চলের উপগ্রহ চিত্র দেখিয়ে বলেন, ২০১০ সালের ২২ অক্টোবর ড্যাপের গেজেট হওয়ার পর এসব অঞ্চল দখলে আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে একটি গোষ্ঠী। বুয়েটের অধ্যাপক ইশরাত হোসেন ঢাকার সাংসদদের নদী দখল রোধে সচেষ্ট হওয়ার আহ্বান জানান। স্থপতি ইকবাল হাবিব অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থানের পাশাপাশি সংবিধানে পরিবেশের ওপর অধিকারকে অন্যতম নাগরিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি করেন। গত ২০ বছরে পরিবেশ নিয়ে ভাবেন, এমন কাউকে পরিবেশমন্ত্রী হিসেবে পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ করেন বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। দিনের আরেক অধিবেশনে নগরবিদ অধ্যাপক নজরুল ইসলাম বলেন, ঢাকাকে নিয়ে কোনো সরকার কিছু ভাবে না। এর জনসংখ্যা ক্রমাগত বাড়লেও বিকেন্দ্রীকরণের কোনো চেষ্টা চোখে পড়ে না। এই অধিবেশনে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না নদী বাঁচানোর আন্দোলনকে রাজনৈতিক এজেন্ডাতে পরিণত করার তাগিদ দেন। সমাপনী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন আইইবির সভাপতি শামীম জেড বসুনিয়া।ভারতের সাম্প্রদায়িক শক্তিকে প্রতিহত করার লক্ষ্যে এবার বাম দলের উদ্যোগে রাজধানী দিল্লির তালকাটোরা স্টেডিয়ামে আজ বুধবার বিকেলে অনুষ্ঠিত হয়েছে সাম্প্রদায়িকতাবিরোধী কনভেনশন। গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে বিজেপি প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী করায় ভারতের অসাম্প্রদায়িক চেতনার রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সাম্প্রদায়িকতাবিরোধী শক্তিকে এক মঞ্চে আনার লক্ষ্যে আয়োজন করা হয়েছে ওই কনভেনশনের।কনভেনশনে চারটি বামদল সিপিআই, সিপিএম, ফরোয়ার্ড ব্ল¬ক, আরএসপিসহ ১৪টি রাজনৈতিক দলের নেতা ও প্রতিনিধিরা যোগ দেন। এতে উপস্থিত ছিলেন সংযুক্ত জনতা দল নেতা ও বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার, উত্তর প্রদেশের সমাজবাদী পার্টির প্রধান মুলায়ম সিং যাদবসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা। ওডিশার নবীন পট্টনায়েকের বিজু জনতা দল, তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী কুমারী জয়ললিতার এআইএডিএমকে, আসামের অসম গণপরিষদ, মহারাষ্ট্রের শারদ যাদবের এনসিপি, কর্ণাটকের দেবগৌড়ের ধর্মনিরপেক্ষ জনতা দলের প্রতিনিধিরাও ছিলেন কনভেনশনে। কনভেনশনে বক্তারা ভারতে সাম্প্রদায়িক শক্তিকে পরাস্ত করার লক্ষ্যে একটি ধর্মনিরপেক্ষ মঞ্চ গড়ার ওপর গুরুত্ব দেন।বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নিতীশ কুমার সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, নরেন্দ্র মোদির প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যাবে।ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার ফুটবলারও এসেছেন বাংলাদেশের ঘরোয়া ফুটবল খেলতে। ফরাসি ফুটবলের সৌরভ ছড়াতে এবার প্যারিস থেকে এলেন ম্যাক্সিম বেলোইত। শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্রের হয়ে আপাতত খেলবেন শুধু ফেডারেশন কাপে। তবে ক্লাবের পছন্দ হলে পুরো মৌসুমই দেখা যেতে পারে ২৭ বছর বয়সী মিডফিল্ডারকে আপনাকে খুব ক্লান্ত দেখাচ্ছে...ম্যাক্সিম বেলোইত: ঠিকই ধরেছেন। প্যারিস থেকে কাল (পরশু) রাতে ঢাকায় এসে পৌঁছেছি। এসেই মাঠে নামতে হলো। ভালোভাবে বিশ্রামেরও সময় পাইনি। ক্লান্ত লাগছে। বাংলাদেশের ফুটবল সম্পর্কে কি কোনো ধারণা আছে আপনার?বেলোইত: না, এ দেশের ফুটবল সম্পর্কে কোনোই ধারণা নেই। তবে এই উপমহাদেশে আমি খেলেছি। কোথায় খেলেছেন?বেলোইত: গত মৌসুমে ভারতের আই লিগের ক্লাব সালগাওকারের হয়ে খেলেছি। ভারতে খেলা প্রথম ফরাসি ফুটবলার আমি। আমার খেলা দেখে অনেকে মোহনবাগানের ব্যারেটোর সঙ্গে তুলনা করত। ব্যারেটো আমার খুব ভালো বন্ধু। সালগাওকারের হয়ে আমি ২০১২ সালের এএফসি কাপেও খেলেছি। এএফসি কাপে খেলার সময় ওমানে গিয়ে অ্যাঙ্কেলের চোটে পড়েছিলাম। এরপর চিকিৎসা নিতে ফ্রান্সে ফিরে যাই। দেশের বাইরে কি শুধু ভারতেই খেলেছেন?বেলোইত: না। ২০১১ সালে সিঙ্গাপুরে এস লিগে খেলেছি। সালগাওকারের পর কিছুদিন খেললাম সংযুক্ত আরব আমিরাতে। কিন্তু আমিরাতে শুধু টাকাই আছে। কোনো সম্মান নেই। এক মাস খেলার পরই হয়তো আপনাকে বলবে, বিদায় হও। ওখানে ভারতের মতো দর্শকও নেই। এসব মোটেও ভালো লাগত না। তাই এজেন্টের সঙ্গে যোগাযোগ করে বাংলাদেশে চলে এলাম। মুক্তিযোদ্ধা-শেখ রাসেল ম্যাচ খেলে কী ধারণা হলো?বেলোইত: একটা মাত্র ম্যাচ খেলে তো কিছু বলা সম্ভব না। তবে ভারত আর বাংলাদেশের খেলার ধরন প্রায় একই রকম। ট্যাকটিক্যালি ভালো, কিন্তু গতিতে ইউরোপের তুলনায় অনেক পিছিয়ে। আপনি তো জিনেদিন জিদানের দেশের ফুটবলার। কখনো তাঁর সঙ্গে দেখা হয়েছে?বেলোইত: একবারই হয়েছিল। তখন আমার বয়স ১২। প্যারিসে একটি আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে আমি বলবয় ছিলাম। সেবার খুব কাছ থেকে তাঁকে দেখেছিলাম। জানেন, উনি আমার আইডল। তাই জিদানকে সামনাসামনি দেখে মিনিট খানেক থ হয়ে গিয়েছিলাম। মনে হচ্ছিল, আমি কি সত্যি বিগ বসকে দেখছি! এটা কি জানেন, ২০০৬ সালে জিনেদিন জিদান বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে খেলে গেছেন?বেলোইত: (হাসি) হ্যাঁ, জানি। এখানকার একটি প্রতিষ্ঠানের শুভেচ্ছাদূত হয়ে এসেছিলেন তিনি। তরুণ ফুটবলারদের সঙ্গে খেলেছিলেন। ওই সব ছবি আমি প্যারিসে বসে পত্রিকায় দেখেছিলাম। আপনার ফুটবলার হওয়ার গল্পটা শুনতে চাই...বেলোইত: আমার বাবা ফুটবলার ছিলেন। খেলা ছেড়ে উনি এখন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছেন। বাবা সব সময় চাইতেন আমি ফুটবলার হই। বাবাই আমাকে ফুটবলার হওয়ার জন্য অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন। ফ্রান্সে কোন পর্যায়ে খেলেছেন?বেলোইত: অনূর্ধ্ব-১৬ দলে একবার সুযোগ পেয়েছিলাম। কিন্তু ইউরোপের সিনিয়র দলগুলোতে সুযোগ পাওয়া সত্যিই কঠিন ব্যাপার। আর পেশাদার ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে খেলেছি ফ্রান্সের দ্বিতীয় বিভাগের দল আমিয়েনস ক্লাবে। আগামী বিশ্বকাপে আপনার ফেবারিট কে?বেলোইত: আমি তো চাইব, ফ্রান্সই বিশ্বকাপ জিতুক।জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ দাবি করেছেন, তাঁর দল থেকে নির্বাচনকালীন সরকারে যোগ দেওয়া মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা তিন দিন চেষ্টা করেও পদত্যাগপত্র জমা দিতে পারেননি। দলটির মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের পদত্যাগের বিষয় নিয়ে একটি পক্ষ ধূম্রজাল সৃষ্টি করছে। আজ সোমবার বারিধারার বাসভবনে এরশাদ সাংবাদিকদের এসব কথা বলে...বিস্তারিত
ক্রিমের ছোট ছোট কৌটা। খুললেই ক্রিম। কিন্তু এ ক্রিমের আড়ালেই আছে ইয়াবা!র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব-২) কর্মকর্তারা এমন তথ্য দিয়ে জানান, গতকাল শনিবার ধানমন্ডি এলাকা থেকে এ ধরনের অনেকগুলো কৌটার ভেতর থেকে তাঁরা ১৩ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করেছেন। এ ঘটনায় আটক করেছেন হারুনুর রশিদ (২৮) নামের এক যুবককে।র‌্যাব-২-এর অধিনায়ক আনিসুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, বেলা আড়াইটার দিকে ধানমন্ডির আবাহনী মাঠসংলগ্ন একটি ভবনের নিচতলা থেকে ইয়াবাসহ হারুনকে আটক করা হয়। হারুন একজন ইয়াবা ব্যবসায়ী। টেকনাফ থেকে একজন ক্রিমের কৌটায় ভরে ইয়াবাগুলো কুরিয়ার সার্ভিসে তাঁর কাছে পাঠিয়েছেন।র‌্যাব কর্মকর্তা বলেন, ক্রিমের কৌটাগুলো পলিথিন সদৃশ বস্তু দিয়ে মোড়ানো। ঢাকনা খুললেই ক্রিম। তবে এ ক্রিম আছে কৌটার এক-তৃতীয়াংশ জুড়ে। কিন্তু নিচে অসংখ্য ইয়াবা। এভাবে বেশ কয়েকটি কৌটায় কৌশলে ইয়াবাগুলো আনা হয়েছিল। আটক হারুনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।কক্সবাজারের কুতুবদিয়া উপজেলায় জামায়াত-পুলিশ সংঘর্ষে দুজন নিহত হওয়ার ঘটনার প্রতিবাদে আগামীকাল বৃহস্পতিবার বৃহত্তর চট্টগ্রামে নয়, শুধু কক্সবাজারে হরতাল ডেকেছে ১৮-দলীয় জোট।আজ বুধবার বিএনপির চট্টগ্রাম মহানগর শাখার সভাপতি আমীর  খসরু মাহমুদ চৌধুরী প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, কুতুবদিয়ার ঘটনায় শুধু কক্সবাজারে হরতাল হবে। চট্টগ্রামে এ ধরনের কোনো কর্মসূচি নেই। হরতাল কর্মসূচির আওতার মধ্যে চট্টগ্রাম পড়বে না।গতকাল মঙ্গলবার কক্সবাজারে জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি জি এম রহিমুল্লাহ দাবি করেন, কুতুবদিয়ায় সংঘর্ষে তাঁদের পাঁচজন নিহত হয়েছেন। তিনি বলেন, এর প্রতিবাদে আগামীকাল কক্সবাজারসহ বৃহত্তর চট্টগ্রামে সকাল-সন্ধ্যা ডাক দেওয়া হয়েছে। তবে আজ আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী হরতালের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, কাল চট্টগ্রামে নয়, কক্সবাজারে হরতালের ডাক দেওয়া হয়েছে।কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তোফায়েল আহমেদ গতকাল জানান, কুতুবদিয়ায় সহিংসতায় পাঁচজন নয় দুজন নিহত হয়েছেন।  রাজধানীতে জামায়াত-শিবিরের ককটেল বিস্ফোরণকক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় জামায়াত-পুলিশ সংঘর্ষে দুজন নিহত হওয়ার ঘটনার প্রতিবাদে আজ সকালে রাজধানীর মহাখালীতে ককটেল বিস্ফোরণ করেছে জামায়াত-শিবির।১৮-দলীয় জোটের ডাকা তিন দিনের অবরোধের শেষ দিনে গতকাল বৃহস্পতিবার লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার জোংড়া ইউনিয়নে বিএনপি-জামায়াতের কর্মীরা হিন্দুদের তিনটিসহ চারটি দোকান ভাঙচুর এবং রংপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতির বাড়িতে হামলা করেছেন। কিশোরগঞ্জে একটি হিন্দু বাড়ি থেকে মূর্তিসহ ঠাকুরঘরের মালামাল চুরি এবং কুড়িগ্রামে একটি কালীমন্দিরে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এর আগে গত মঙ্গল ও বুধবার অবরোধ চলাকালে বিভিন্ন স্থানে মন্দিরে ভাঙচুর ও আগুন দেওয়া হয়েছে। প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর:লালমনিরহাটের পাটগ্রামে সরকারের হাট আঞ্চলিক সড়কের কাফির বাজার ও ঘোষপাড়া এলাকায় গতকাল সকাল আটটায় চারটি দোকান ভাঙচুর করেছেন বিএনপি-জামায়াতের কর্মীরা। এ দুটি স্থানে বিএনপি ও জামায়াতের কর্মীরা সড়ক অবরোধ করলে পুলিশ তাঁদের ধাওয়া করে। এ সময় অবরোধকারীরা সেখান থেকে সরে গেলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে জোংড়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য নজরুল ইসলাম এবং স্থানীয় রহমান মিয়ার ছেলে মোস্তাকিমকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এর পরই জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা সংঘবদ্ধ হয়ে কাফির বাজারে আওয়ামী লীগের কর্মী জমির উদ্দিন মিয়ার ওষুধের দোকান ও মানিক ঘোষের মুদির দোকান এবং ঘোষপাড়ায় সুভাস দাস ও খোকন ঘোষের মুদি দোকান ভাঙচুর করেন। পরে তাঁরা রংপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ধনজিত কুমার ঘোষের বাড়িতে হামলা চালান।তাপসের মা সবিতা রানী ঘোষ জানান, হঠাৎ করে শ খানেক লোক তাঁর বাড়িতে হামলা চালিয়ে তিনটি কক্ষ ও একটি রান্নাঘরের আসবাব ভাঙচুর করেন।কিশোরগঞ্জ শহরের বত্রিশ এলাকার সরকারবাড়ির তিনতলায় অবস্থিত ঠাকুরঘর তছনছ করে প্রতিমাসহ মালামাল নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। বুধবার গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটে। বাড়ির বড় ছেলে গৌতম সরকার জানান, তিনতলায় কীভাবে দুর্বৃত্তরা ঢুকল, তা তাঁদের বোধগম্য নয়। এর আগে গত এক মাসে দুবার দুর্বৃত্তরা গোপালের প্রতিমা নিয়ে যায়। এবার তারা তিনটি প্রতিমাসহ সব মালামাল নিয়ে গেছে।কিশোরগঞ্জ মডেল থানার ওসি আবদুল মালেক জানান, লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার নাওডাঙ্গা সর্বজনীন কালীমন্দিরে আগুন দিয়েছে দুষ্কৃতকারীরা। আগুনে মন্দিরের শিশু ও গণশিক্ষা পাঠশালা পুড়ে যায়। গত বুধবার গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটে। এর প্রতিবাদে নাওডাঙ্গা জমিদারবাড়ি মহা-অর্চনা সংঘের উদ্যোগে বালারহাট বাজার চত্বর ও ফুলবাড়ী উপজেলা সদরে গতকাল বিকেলে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ হয়েছে। ফুলবাড়ী থানার ওসি বজলুর রশীদ জানান, বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।নিন্দা-প্রতিবাদ: দেশের বিভিন্ন স্থানে সংখ্যালঘু হত্যা, তাঁদের মন্দির, বাড়ি ও দোকানে অগ্নিসংযোগ এবং লুটপাটের ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ। বিভিন্ন স্থানে হামলার চিত্র তুলে ধরে গতকাল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৬ নভেম্বর রাতে ফটিকছড়ির পাঁচপুকুড়িয়া গ্রামের নাথপাড়ায় সন্ত্রাসীদের দেওয়া আগুনে সুমী নাথ ও তাঁর দেড় বছরের শিশু শ্রবণ নাথ মারা যায়। ওই রাতেই চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার ধামারহাট, সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে শিবমন্দিরে আগুন দেওয়া হয়। ২৭ নভেম্বর নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে ও কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে কালীমন্দিরে আগুন দেয় সন্ত্রাসীরা। এ ছাড়া ২৮ নভেম্বর পাটগ্রামে সন্ত্রাসীরা সংখ্যালঘুদের বাড়িতে হামলা চালায়।মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় গত ৩০ নভেম্বর নিহত হয়েছেন ‘ফাস্ট অ্যান্ড ফিউরিয়াস ৭’ ছবির ব্রায়ান ও’কনার চরিত্র রূপদানকারী অভিনেতা পল ওয়াকার। তাঁর মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছেন ছবির দলের সব সদস্য। পলের অনুপস্থিতিতে ছবিটির কাজ থেমে যাবে কি না তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছিল। তবে সম্প্রতি পরিচালক জেমস ওয়ান জানিয়েছেন, পলকে ছাড়াই ছবিটির কাজ শেষ করবেন তিনি....বিস্তারিত
দেশের ১০ লাখ দরিদ্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কল্যাণে মানবাধিকার ও সুশাসন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নতুন কর্মসূচি শুরু করেছে বেসরকারি সাহায্য সংস্থা মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন (এমজেএফ)। যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়া ‘বাংলাদেশের বঞ্চিত ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য সুযোগ সৃষ্টি (সিওপিই-কোপ)’ শীর্ষক কর্মসূচিতে অর্থায়ন করবে।গতকাল শনিবার বাংলা একাডেমি মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে কর্মসূচি শুরুর ঘোষণা দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারপারসন সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী। মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন ১২০টি সহযোগী সংস্থার মাধ্যমে ২০১৩ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে এ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করবে।গতকালের অনুষ্ঠানে বলা হয়েছে, এ কর্মসূচির লক্ষ্য হবে নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতা প্রতিরোধ, শ্রমিকদের জন্য নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করা, মৌলিক সেবা ও সামাজিক নিরাপত্তায় দরিদ্র জনগোষ্ঠীর সুযোগ সৃষ্টি করা এবং ভূমি ও সম্পদে তাদের অধিকার সমুন্নত রাখা।প্রধানমন্ত্রীর পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা গওহর রিজভী বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন বিশেষ করে জাতিসংঘের সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্য (এমডিজি) অর্জনে বেসরকারি সাহায্য সংস্থাগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।স্বাগত বক্তৃতায় মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম বলেন, ফাউন্ডেশন এমন একটি বাংলাদেশ দেখতে চায়, যেখানে দরিদ্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীসহ জনগণ মর্যাদা ও সুখ-সমৃদ্ধিতে বসবাস করতে পারে।যুক্তরাজ্যের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থার (ডিএফআইডি) এ দেশীয় প্রতিনিধি সারাহ কুক বলেন, বাংলাদেশ অনেক সামাজিক খাতে গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য পেলেও অনেক মানুষই এখনো পিছিয়ে আছে। এদের সহায়তা করবে কোপ।এনজিও অধিদপ্তরের মহাপরিচালক নুরুন্নবী তালুকদার, অসএইডের উন্নয়নবিষয়ক প্রধান প্রিয়া পাওয়ের অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।সংবাদকর্মীরা রাজনৈতিক আক্রোশের শিকার হওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সম্পাদক পরিষদ। রাজনৈতিক দলগুলোকে এ ধরনের হামলা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে পরিষদ।দেশের প্রধান গণমাধ্যমগুলোর সম্পাদকদের সংগঠন সম্পাদক পরিষদ। পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও ‘ডেইলি স্টার’-এর সম্পাদক মাহফুজ আনাম আজ বুধবার এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানান।বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সব সময় সংবাদমাধ্যম ও সাংবাদিকেরা হরতালের আওতামুক্ত। কিন্তু তার পরও ২৬ থেকে ৩০ অক্টোবর এই পাঁঁচ দিনে কমপক্ষে ১৯ জন সাংবাদিক, চারটি গণমাধ্যম ও কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের গাড়ি আক্রান্ত হয়েছে। এ ছাড়া দুজন সাংবাদিকের বাসায় হামলা হয়েছে। এই ধরনের রাজনৈতিক আচরণ উদ্বেগজনক। এর ফলে আমরা সাংবাদিকেরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।’বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘ভুলে গেলে চলবে না যে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় গণমাধ্যমের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। স্বাধীন ও বলিষ্ঠ গণমাধ্যম ছাড়া পৃথিবীতে কোথাও গণতন্ত্র টেকসই হতে পারে না। বাংলাদেশের প্রধান গণমাধ্যমগুলোও এই লক্ষ্যেই কাজ করছে। স্বাধীন ও বলিষ্ঠ গণমাধ্যম বাংলাদেশের একটি গৌরবময় অর্জন। অনেক ত্যাগ ও ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্যে দিয়ে এই অর্জন এসেছে। বাংলাদেশের জনগণ ও সাংবাদিকেরা এই অর্জনকে বিনষ্ট হতে দেবে না।’মাহফুজ আনাম সব রাজনৈতিক দলের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনাদের কাছে আহ্বান আপনারা আপনাদের কর্মীদের আমাদের ও সংবাদমাধ্যমের ওপর আক্রমণ করা থেকে বিরত রাখবেন। একই সঙ্গে সরকারের কাছে অনুরোধ সংবাদকর্মী ও সংবাদমাধ্যমের নিরাপত্তা প্রদান করবেন।’জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান সংকটের পরিপ্রেক্ষিতে ছয়টি দাবিতে ‘জাহাঙ্গীরনগর বাঁচাও আন্দোলন’ শিরোনামে কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন শিক্ষকেরা। শিক্ষক মঞ্চ-এর ব্যানারের শিক্ষকেরা গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে কর্মসূচি শুরু করেন।দাবি বাস্তবায়নে আগামীকাল শনিবার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের পাদদেশে সমাবেশ ঘোষণা করেছে শিক্ষক মঞ্চ। পাশাপাশি গতকাল থেকে শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে চলছে প্রতিবাদী প্রদর্শন। গতকাল বেলা পৌনে একটার দিকে শহীদ মিনারের পাদদেশে এক সংবাদ সমেঞ্চলনের মাধ্যমে এ কর্মসূচি ঘোষণা করে শিক্ষক মঞ্চ। সংবাদ সমেঞ্চলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মানস কুমার চৌধুরী।শিক্ষক মঞ্চের দাবিগুলো হলো ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের সব সংগঠনের সহাবস্থান, সমান রাজনৈতিক ও মতাদর্শিক অভিব্যক্তিকে নিশ্চিত করে এবং ক্যাম্পাসকে অস্ত্রমুক্ত করে জাকসু নির্বাচন দেওয়া, ক্যাম্পাসে গণতান্ত্রিক চর্চাকে অব্যাহত রাখা, ক্লাস-পরীক্ষাকে সকল প্রকার আন্দোলন-কর্মসূচির বাইরে রাখা, অবিলম্বে নির্বাচনের মাধ্যমে মেয়াদোত্তীর্ণ সিনেট প্রতিনিধিদের হালনাগাদ করা, স্বায়ত্তশাসনের অপব্যবহার বন্ধ করা, শিক্ষকদের জবাবদিহি নিশ্চিত করা, ক্যাম্পাসের শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনা।তিনি আরও বলেন, কিছুসংখ্যক পদলোভী এবং গোষ্ঠীস্বার্থ রক্ষাকারী মানুষ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় নয় মাস ধরে আন্দোলন চালাচ্ছে। তারা দফায় দফায় প্রশাসনিক ভবন অবরোধ, ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ করে যে কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে তাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে। সম্প্রতি শিক্ষকেরা সিনেটে শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচন স্থগিত হলে অবরোধ তুলে নেওয়া হবে বলে যে শর্ত দুই সহ-উপাচার্যকে দিয়েছিলেন তা শিক্ষকেরা ভঙ্গ করেছেন, যা স্পষ্টতই প্রতারণা।বিশ্ববিদ্যালয়ের এই পরিস্থিতিতে আধিপত্য-জবরদখলমুক্ত শিক্ষাঙ্গন ও জবাবদিহিমূলক বিশ্ববিদ্যালয়ের লক্ষ্যে ছয় দফা দাবিতে ‘জাহাঙ্গীরনগর বাঁচাও আন্দোলন’ এই শিরোনামে আন্দোলন শুরু করছে শিক্ষক মঞ্চ।সংবাদ সমেঞ্চলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সরকার ও রাজনীতি বিভাগের নাসিম আখতার হোসাইন, দর্শন বিভাগের রায়হান রাইন, প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের স্বাধীন সেন প্রমুখ।অবরোধ চলছে নয় দিন: এদিকে উপাচার্য প্যানেল নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার দাবিতে দুই সহ-উপাচার্যকে নয় দিন ধরে প্রশাসনিক ভবনে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরামের ব্যানারে আন্দোলনকারী শিক্ষকেরা। তাঁদের দাবিতে অনড় রয়েছেন বলে জানান ঐক্য ফোরামের সদস্য সচিব মুহামঞ্চদ কামরুল আহসান। গতকালও প্রশাসনিক ভবনের কাজকর্ম বন্ধ ছিল। প্রশাসনসংশ্লিষ্ট কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গতকাল বৃহস্পতিবার উপাচার্য মো. আনোয়ার হোসেনের ছুটি শেষ হয়েছে। আগামীকাল থেকে উপাচার্য কাজে যোগ দিতে পারেন।এই মুহূর্তে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নেই বলে দাবি করেছে জাতীয় পার্টি। এর ফলে এ ক্ষেত্রে জাতিসংঘ অগ্রণী ভূমিকা রাখতে বলে মনে করছে দলটি। আজ রোববার জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদের সঙ্গে বৈঠক করেন জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব অস্কার ফার্নান্দেজ তারানকো...বিস্তারিত
৪ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষা। সারা দেশে একসঙ্গে অনুষ্ঠেয় এই পরীক্ষাই দেশের সবচেয়ে বড় ভর্তি পরীক্ষা হিসেবে বিবেচিত। পরীক্ষার শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতির কথা জানাচ্ছেন ২০১১ সালে ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম হওয়া শরাফত করিমমেডিকেল কলেজে ভর্তিইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা, আশা করি ডাক্তার হওয়ার আজন্ম লালিত স্বপ্ন বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে তোমরা সাধ্যমতো প্রস্তুতি নিচ্ছ। ভর্তি পরীক্ষার জন্য হাতে আছে মাত্র কয়েকটি দিন। আমার অভিজ্ঞতায় আমি বলব, এই সময়ে তোমাদের নতুন করে পড়ার কিছুই নেই। এখন সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন আত্মবিশ্বাস। আগে যা পড়েছ, সেগুলোই শেষবারের মতো ভালোভাবে ঝালাই করে নাও।তোমরা পদার্থ, রসায়ন ও জীববিজ্ঞানের ক্ষেত্রে যেসব পাঠ্যবই পড়েছ, সেগুলোই শেষবারের মতো ভালো করে চোখ বুলিয়ে নাও। আরেকটি কাজ তোমাদের করতে হবে, তা হচ্ছে বিগত বছরের প্রশ্নপত্রের ওপর বাসায় পরীক্ষা দাও। এতে প্রশ্নপত্রের ওপর একটা ভালো ধারণা সৃষ্টি হবে, যা পরীক্ষার কক্ষে তোমাকে অনেক সাহায্য করবে।পরীক্ষার এক ঘণ্টা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, তাই তোমাকে অবশ্যই তোমার পরীক্ষার এক ঘণ্টা নিরাপদ রাখতে হবে। পরীক্ষার কক্ষে তোমাকে যা যা নিয়ে যেতে হবে, পরীক্ষার আগের দিন সেগুলো গুছিয়ে নেবে। কোনো কিছুই যেন বাদ না যায়, সে বিষয়ে খুব সচেতন থাকা দরকার। অনেকে পরীক্ষার আগের রাতে না ঘুমিয়ে পরীক্ষা দিতে যায়, এটাও ঠিক নয়। অবশ্যই তুমি পরীক্ষার আগের রাতে ঠিকমতো ঘুমাবে। এতে তোমার পরীক্ষা ভালো হওয়ার সম্ভাবনা বাড়বে। আর পরীক্ষার কক্ষে অবশ্যই কমপক্ষে আধা ঘণ্টা আগে যাওয়া উচিত। পরীক্ষার কক্ষের প্রাথমিক কাজগুলো (নাম, রোল, স্বাক্ষর) খুব সচেতনভাবে করবে। পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে পেয়েই তাড়াহুড়া করার কিছু নেই। অন্য কোনো দিকে মনোযোগ না দিয়ে তুমি শুধু তোমার প্রশ্নপত্রের মধ্যে এক ঘণ্টা ডুবে থাকবে। এই একটা ঘণ্টা তোমার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ সময়। জীবন গড়ার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এই পরীক্ষাটা তোমরা ভালোভাবে দাও—এই আশা করি। মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাসগুলোতে তোমাদের স্বাগত।নগরবাড়ী-বগুড়া মহাসড়কের সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলায় হিউম্যানহলার ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে চালকসহ তিনজন নিহত এবং দুজন আহত হয়েছেন।আজ বুধবার সকাল ১০টার দিকে মহাসড়কের জংলীপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তিরা হলেন আবদুল মালেক জোয়াদ্দার (৫০), লিটন হোসেন (৩৫) ও অটোরিকশার চালক সাইফুল ইসলাম। তাঁদের মধ্যে আবদুল ও লিটনের বাড়ি শাহজাদপুর উপজেলার বাঘাবাড়ী গ্রামে। আর সাইফুলের বাড়ি গঙ্গাপ্রসাদ গ্রামে।প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, অটোরিকশাটি শাহজাদপুর থেকে পাঁচজন যাত্রী নিয়ে হাটিকুমরুল গোলচত্বরে যাচ্ছিল। মহাসড়কের উল্লাপাড়া উপজেলার জংলীপুর এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি হিউম্যানহলারের সঙ্গে সেটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে অটোরিকশাটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই অটোরিকশার যাত্রী আবদুল মালেক জোয়াদ্দার নিহত হন। চালক সাইফুল, আবদুল মতিন শেখ, লিটন হোসেনসহ বাকি যাত্রীদের চারজন গুরুতর আহত হন। আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে উল্লাপাড়া ২০ শয্যার হাসপাতালে নেওয়ার পথে লিটন মারা যান। ঢাকায় পাঠানোর পথে চালক সাইফুল ইসলাম মারা যান।উল্লাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল হুদা জানান, হিউম্যানহলারটি আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় উল্লাপাড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন ও আল-বেরুনী হলের ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যে গতকাল বৃহস্পতিবার সংঘর্ষে উভয় পক্ষের পাঁচ-ছয়জন আহত হয়েছেন। উভয় পক্ষ কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছোড়ে।প্রত্যক্ষদর্শী ও ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা-কর্মী জানান, গতকাল দুপুরে মীর মশাররফ হোসেন হলের ছাত্রলীগের কর্মী ও মার্কেটিং বিভাগের ৪০ ব্যাচের শিক্ষার্থী রেদওয়ানকে বেয়াদবির অভিযোগ তুলে মারধর করেন আল-বেরুনী হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মহব্বত আমীন শিশির।এ ঘটনার জের ধরে বিকেল সাড়ে চারটার দিকে ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সহসভাপতি রুহুল আমীন ও সাংগঠনিক সম্পাদক ফয়সাল হোসেনের নেতৃত্বে মীর মশাররফ হোসেন হলের দুই শতাধিক নেতা-কর্মী নিয়ে একটি মিছিল বের হয়। মিছিলটি আল-বেরুনী হলের দিকে এগিয়ে গেলে সেখানে উপস্থিত ওই হলের ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে তাঁদের প্রায় ১০ মিনিট সংঘর্ষ হয়। এ সময় উভয় পক্ষ কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এতে উভয় পক্ষের পাঁচ-ছয়জন নেতা-কর্মী আহত হন। এ সময় আল-বেরুনী হলের পাশে পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিকস বিভাগের জানালার কাচ ভাঙচুর করা হয়।এ বিষয়ে প্রক্টর মুজিবুর রহমান বলেন, ‘কেউ লিখিত অভিযোগ না দেওয়ায় কারও বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিতে পারছি না। তবে দুই হলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করে প্রকৃত কারণ জানার চেষ্টা করছি।’ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘এটা একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা। আমরা আলোচনার মাধ্যমে সমঝোতা করব।’সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আমতলা গ্রামে গতকাল শনিবার দিবাগত রাতে এজাহার আলী (৫৫) নামের আওয়ামী লীগের এক কর্মীকে কুপিয়েছে দুর্বৃত্তরা। আজ রোববার ভোরে চিকিত্সাধীন অবস্থায় মারা গেছেন তিনি....বিস্তারিত
রানা প্লাজা ধসে পড়ার পর বিমের তলায় আটকা পড়েছিলেন সপ্তম তলায় কর্মরত শ্রমিক রেহানা আক্তার (২০)। পরদিন ভোরবেলায় উদ্ধার পেলেও হারিয়েছেন দুই পা। সেই রেহানা গতকাল শনিবার নতুন এক জোড়া পা পেয়েছেন। নতুন পায়ে সবার সামনে কারও সাহায্য ছাড়া হেঁটেছেনও।রেহানাসহ রানা প্লাজা ও বিভিন্ন দুর্ঘটনায় পা হারানো ১০৭ জনকে কৃত্রিম পা লাগিয়ে দিয়েছে থাইল্যান্ডের প্রোসথেসিস ফাউন্ডেশন অব এইচআরএইচ দ্য প্রিন্সেস মাদার। ১০৭ জনের মধ্যে পাঁচজন রানা প্লাজার ধসে পা হারিয়েছেন।ফাউন্ডেশনের ৬৩ জন চিকিৎসক ও কারিগরি কর্মী রাজধানীর জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে (পঙ্গু হাসপাতাল) একটি ভ্রাম্যমাণ কারখানা বসিয়ে টানা এক সপ্তাহ কাজ করে এসব কৃত্রিম পা তৈরি করেন। স্বল্পমূল্যে কৃত্রিম পা বানানো বিশ্বের সেরা প্রতিষ্ঠানগুলোর একটি এটি। প্রতিষ্ঠানটির লক্ষ্য জাতি-ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে সবাইকে সহযোগিতা করা।বাংলাদেশে আসা ৬৩ সদস্যের দলটির নেতৃত্ব দেন ফাউন্ডেশনের ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল ভাজারা রুজিওয়েতপংসতোরা। সাভারে রানা প্লাজা ধসের পর থাই সরকার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে কৃত্রিম পা লাগানোয় সহযোগিতার প্রস্তাব করে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে ১০৭ জন পেলেন কৃত্রিম পা। রোগী বাছাইয়ের কাজ করেছে পঙ্গু হাসপাতাল আর পুরো কর্মসূচিটিতে সমন্বয়কের কাজ করেছেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক জুলফিকার আলী।গত এক সপ্তাহ নির্বাচিত ব্যক্তিদের মাপজোক নিয়ে গতকাল পঙ্গু হাসপাতালে আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁদের পা হস্তান্তর করা হয়। অনুষ্ঠানে বেশ কয়েকজনকে পা পরিয়ে দেওয়া হয়। কৃত্রিম পা পরে হাঁটার জন্য অনুশীলন করতে হয়। যাঁরা এখনো হাঁটার চর্চা করেননি, তাঁরা পা না পরে বাড়ি নিয়ে গেছেন।অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিয়োজিত থাই রাষ্ট্রদূত মাদুরোপোছানা ইত্তারং বলেছেন, বাংলাদেশের পঙ্গু হয়ে যাওয়া মানুষের জন্য থাই সরকার সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে। তিনি এ দফার কর্মসূচিকে বলেছেন প্রথম পর্বের কাজ।পঙ্গু হাসপাতালের পরিচালক খন্দকার আবদুল আউয়াল রিজভী থাইল্যান্ডের প্রতিনিধিদলকে ধন্যবাদ জানান। যাঁরা কৃত্রিম পা লাগিয়েছেন, তাঁদের উদ্দেশে বলেন, ‘দৃঢ় মনোবল দরকার। তাহলেই আপনারা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে পারবেন। কৃত্রিম পা নিয়ে অনেকে খেলাধুলাও করেছেন। আপনারাও পারবেন।’যেন নতুন জীবন ফিরে পাওয়া: রেহানা আক্তার প্রথম আলোকে বলেন, ‘দুই দিন প্র্যাকটিস কইরাই আইজকা হাঁটছি। খুবই ভয় পাইছি, যদি পইড়া যাইতাম। তবু মেলা দিন পরে একা একা হাঁটলাম।’ রেহানা এখনো সাভারের পক্ষাঘাতগ্রস্তদের পুনর্বাসন কেন্দ্রে (সিআরপি) চিকিৎসাধীন।হাঁটুর ওপর থেকে বাঁ পা হারিয়েছিলেন রানা প্লাজার শ্রমিক শিল্পী বেগম। গতকাল তিনিও পেলেন কৃত্রিম একটি পা। খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাঁটছিলেন সেটা পরে। কিন্তু মুখে ছিল হাসির আভা। বললেন, ‘নতুন পা লাগানোর পর থেকি মেয়ের সাথে দেখা হয়নি। সে স্কুলে ছিল। দেখলে যে কী খুশি হবে।’পা পেয়েছে পাঁচ বছরের ছোট্ট ইতিমণিও। যাত্রাবাড়ীতে ট্রাকের তলায় পড়ে পা হারিয়েছে সে। ধুঁকে ধুঁকে কাটছিল ছটফটে শিশুটির জীবন। গতকাল এক চিকিৎসক যখন তাকে পা’টা পরিয়ে দিচ্ছিলেন, তখন তার চোখে-মুখে হাসি। যেন পা’টা একবার ঠিকঠাকমতো লেগে গেলেই দেবে এক ছুট।মাত্র চার বছর বয়সে গ্যাংগ্রিনে দুই পা-ই হারায় ১৬ বছরের তানিয়া আক্তার। এত দিন হাঁটুতে ভর দিয়ে বাসার ভেতরে হাঁটলেও এখন নতুন দুই পা পেয়েছে সে। তবে এখনো নতুন পায়ে অভ্যস্ত হয়ে ওঠেনি।ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের লউর ফতেহপুর আলিয়া মাদ্রাসা থেকে এ বছর মাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশ নেবে তানিয়া। তার মা মাজেদা বেগম বলেন, ছোটবেলায় পা কাটা পড়ার পর থেকেই ছোট মেয়েটিকে নিয়ে তিনি খুব দুশ্চিন্তায় ছিলেন। ফুটফুটে একটা মেয়ে, কিন্তু দুই পা-ই নেই।টাঙ্গাইলের ১৭ বছরের কলেজপড়ুয়া আরেফিন রায়হান গত বছর মোটরসাইকেল চালাতে গিয়ে যমুনা সেতুর ওপর দুর্ঘটনায় ডান পা হারায়। অনেকটাই ভেঙে পড়েছিল আরেফিন। নতুন পা পেয়ে গতকাল থেকেই হাঁটা শুরু করেছে। গত বছর এইচএসসি পরীক্ষা দেওয়ার কথা থাকলেও দিতে পারেনি। এবার ভালো প্রস্তুতি নিয়েই পরীক্ষা দেবে বলে জানায়।রানা প্লাজা ধসে হাত-পা হারানো আরও ২০ জন সাভারের দুটি প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসা নিয়েছেন ও নিচ্ছেন। তাঁদের মধ্যে নয়জনকে সেন্টার ফর ডিজঅ্যাবিলিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (সিডিডি) কৃত্রিম হাত-পা সংযোজন করে দিয়েছে। আর দুই পা হারানো পাখি বেগম সিডিডিতে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এ ছাড়া সিআরপিতে চলছে অঙ্গ হারানো ১০ জনের চিকিৎসা।বিরোধী দল বিএনপি শর্তহীনভাবে উদ্যোগ নিলে সংলাপ হতে পারে বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তোফায়েল আহমেদ। আজ বিকেলে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে কৃষক লীগ আয়োজিত সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।‘আলোচনার জন্য সরকারকেই উদ্যোগ নিতে হবে’—বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন মন্তব্যের বিষয়ে তোফায়েল বলেন, ‘আমরা তো প্রস্তাব দিয়েছি। কেন আমরা আবার প্রস্তাব দেব। আপনাদেরকেই নিঃশর্ত প্রস্তাব দিতে হবে। তবে তত্ত্বাবধায়ক নিয়ে কোনো আলোচনা হবে না। নিঃশর্ত আলোচনার জন্য আওয়ামী লীগ সব সময় প্রস্তুত।’প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রস্তাব করা সর্বদলীয় সরকার গঠন প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে উল্লেখ করে সাবেক মন্ত্রী তোফায়েল বলেন, ‘সর্বদলীয় সরকার গঠন প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে। নির্বাচন কমিশনও আরপিও তৈরির কাজ শুরু করেছে। নির্বাচনের সময় ঘনিয়ে আসছে।’খালেদা জিয়াকে সংবিধান পড়ার আহ্বান জানিয়ে তোফায়েল আরও বলেন, ‘আপনি না বুঝে বলেছিলেন ২৭ অক্টোবরের পর সরকার অবৈধ হয়ে যাবে। আগামী ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত সরকারও থাকবে সংসদও থাকবে।’ বিরোধী দল হরতাল প্রত্যাহার করলে ২০ জন মায়ের বুক খালি হতো না বলে মন্তব্য করেন তোফায়েল।সমাবেশে খাদ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের কৃষিবিষয়ক সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, যে অস্ত্র দিয়ে জামায়াত-শিবির ও বিএনপি মানুষকে মারছে, একদিন এই অস্ত্র আত্মসমর্পণ করবে। সরকারের উন্নয়নের জন্য বিএনপি নির্বাচনে আসতে ভয় পায় বলে উল্লেখ করেন রাজ্জাক।আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বিরোধী দলের উদ্দেশে বলেন, হরতাল দিয়ে খালি হাতে মাঠে নামুন, জনগণ আপনাদের গণধোলাই দেবে। আপনারা পালানোর পথ পাবেন না।কৃষক লীগের সভাপতি মোতাহার হোসেন মোল্লার সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন সাংসদ এ কে এম রহমত আলী, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক শামসুল হক রেজা প্রমুখ।জাতীয় পার্টির (জাপা) সভাপতিমণ্ডলীর জ্যেষ্ঠ সদস্য কাজী জাফর আহমদকে ‘অব্যাহতি’ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন দলের চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ। পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে জাপার চেয়ারম্যান পদ থেকে এরশাদকে ‘অপসারণের’ ঘোষণা দিয়েছেন কাজী জাফর।গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা একটা থেকে দেড়টার মধ্যে দুজন পরস্পরের বিরুদ্ধে এই পাল্টাপাল্টি ব্যবস্থা গ্রহণের ঘোষণা দেন।গতকাল বিকেল থেকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কাজী জাফরের ওপর বিশেষ সংস্থার নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। তাঁর সঙ্গে দর্শনার্থী ও সাংবাদিকদের সাক্ষাৎ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন কাজী জাফর। রাত সাড়ে আটটার দিকে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে প্রায় অবরুদ্ধ অবস্থায় আছেন। যদি কোনো কারণে তাঁকে কারারুদ্ধ বা অন্য কোনোভাবে ‘নিয়তির দিকে’ ঠেলে দেওয়া হয়, তাহলে জাপার নেতা-কর্মীদের চলমান আন্দোলনের সঙ্গে একাত্ম হয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান।গতকাল বেলা একটার দিকে বারিধারার একটি রেস্তোরাঁয় সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় অনুষ্ঠানে এরশাদ বলেন, ‘কাজী জাফরের বহিষ্কারপত্র একটু আগে সই করে এসেছি। তিনি আজ থেকে আমার দলে নেই।’এরশাদ বলেন, ‘আমি তাঁকে (কাজী জাফর) স্নেহ করি, অনেক দিন আমার সঙ্গে আছেন, প্রধানমন্ত্রী করেছিলাম। তিনি হাসপাতালে আছেন, আমি দেখতে গিয়েছিলাম। কিন্তু আমার সমবেদনাকে তিনি দুর্বলতা ভেবেছেন। প্রতিদিন আমার বিরুদ্ধে স্টেটমেন্ট দিচ্ছেন। আমি ধৈর্যহারা হয়ে পড়েছি।’এরপর বিকেলে এরশাদ এক বিবৃতিতে বলেন, দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ড, দলীয় নীতি-আদর্শ উপেক্ষা করে নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়ার দায়ে কাজী জাফর আহমদকে জাতীয় পার্টির প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব পদ ও দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। দলের গঠনতন্ত্রের ৩৯ ধারায় চেয়ারম্যানকে দেওয়া বিশেষ ক্ষমতাবলে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।অব্যাহতির খবর পেয়ে কাজী জাফর আহমদ পৃথক বিবৃতিতে দলের গঠনতন্ত্রের ৩৭ ধারা মোতাবেক দলের চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদকে ‘অপসারণ’ করার ঘোষণা দেন। এতে এরশাদের বিরুদ্ধে জাতীয় পার্টির ঐক্য, সংহতি ও মর্যাদা বিনষ্ট করার অভিযোগ আনা হয়। বিবৃতিতে শিগগিরই জাপার বিশেষ সম্মেলন ডেকে চেয়ারম্যান পদ থেকে এরশাদকে অপসারণের বিষয়টি কার্যকর করা ও নতুন চেয়ারম্যান নির্বাচিত করার ঘোষণা দেন তিনি।কাজী জাফর অভিযোগ করেন, এরশাদ জাপার গঠনতন্ত্রকে ‘এরশাদতন্ত্রে’ পরিণত করেছেন। আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে ইতিপূর্বে রওশন এরশাদকে চারবার ও তাঁকে তিনবার বহিষ্কার করেছেন। সম্প্রতি যুগ্ম মহাসচিব ইকবাল হোসেন ও আরিফ খানকে বহিষ্কার করেন। এরশাদ একক সিদ্ধান্তে তথাকথিত সর্বদলীয় সরকারে যোগদান করে এবং লজ্জাজনক আচরণ করে দলের ঐক্য ও সংহতিকে বিনষ্ট করেছেন।কোনো দল বা ব্যক্তির ইচ্ছা পূরণের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহূত না হতে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি। সে সঙ্গে নির্বাচন স্থগিত করারও আহ্বান জানিয়েছে দলটি। অজ্ঞাত স্থান থেকে দলের মুখপাত্র সালাহউদ্দিন আহমেদ আজ শনিবার এক ভিডিও বার্তায় এ আহ্বান জানান...বিস্তারিত
টানা আট দিন শ্রমিক বিক্ষোভের পর অবশেষে গতকাল শনিবার বিজিএমইএর নেতারা পোশাকশ্রমিক নেতাদের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠক করেছেন। পরে পোশাকশিল্পের বর্তমান নৈরাজ্য ঠেকাতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার যৌথ ঘোষণা দেয় উভয় পক্ষ।এদিকে বৈঠকে উপস্থিত একাধিক শ্রমিকনেতা বর্তমান শ্রমিক-অসন্তোষকে উসকে দেওয়ার জন্য নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানকে দায়ী করে বক্তব্য দেন। এ সময় নৌমন্ত্রীর পক্ষের কয়েকটি শ্রমিক সংগঠনের নেতারা এর প্রতিবাদ করেন। উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়ের একপর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে।বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)র কার্যালয়ের সভাকক্ষে গতকাল বেলা সাড়ে তিনটায় বৈঠকটি শুরু হয়। সভাপতিত্ব করেন সমিতির সভাপতি আতিকুল ইসলাম। এতে ৪০টির মতো শ্রমিক সংগঠনের নেতারা অংশ নেন।প্রায় আড়াই ঘণ্টা বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের কাছে যৌথ ঘোষণা পড়ে শোনান আতিকুল ইসলাম। এতে যত দ্রুত সম্ভব নিম্নতম মজুরি বোর্ডকে নতুন মজুরিকাঠামো ঘোষণার অনুরোধ জানানো হয়। একই সঙ্গে ওই মজুরিকাঠামো ঘোষণার পর পরই তা বাস্তবায়নের অঙ্গীকার করেছে বিজিএমই। এ ছাড়া আগামী ঈদের আগেই শ্রমিকদের বেতন-বোনাস দেওয়ার জন্য কারখানার মালিকদের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়।বাকি তিন ঘোষণা হচ্ছে—দেশের ৭৯ শতাংশ রপ্তানি আয় অর্জনকারী পোশাকশিল্পকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবেন মালিক ও শ্রমিকনেতারা। বহিরাগত ব্যক্তিদের গুজবে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনার বিরুদ্ধে নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করবেন তাঁরা। এ ছাড়া নৈরাজ্য সৃষ্টিকারীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে সরকারের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়।বৈঠকে সম্মিলিত গার্মেন্ট শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি নাজমা আক্তার, নিম্নতম মজুরি বোর্ডের শ্রমিকপক্ষের প্রতিনিধি ও জাতীয় গার্মেন্ট শ্রমিক কর্মচারী লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম, জাগো বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি মো. বাহারানে সুলতান, বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন ও সহসভাপতি সিদ্দিকুর রহমান, বর্তমান সহসভাপতি শহিদুল্লাহ আজিম, রিয়াজ-বিন-মাহমুদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।বৈঠকে সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ছিল। তবে সভা শুরুর আধা ঘণ্টা পরই সভাকক্ষের বাইরে থেকে হট্টগোলের শব্দ শোনা যায়। নৌমন্ত্রীর পক্ষের দু-তিনজন শ্রমিকনেতা এ সময় উচ্চস্বরে কথা বলতে বলতে সেখান থেকে বেরিয়ে আসেন। এ সময় তাঁরা সভা বয়কটের হুমকি দিলেও বিজিএমইএর নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।এ প্রসঙ্গে বৈঠক শেষে এক শ্রমিকনেতা বলেন, আনুষ্ঠানিক সভা শুরুর আগেই উভয় পক্ষের শ্রমিকনেতাদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। সভা শুরুর পর তা ব্যাপক আকার নেয়। মূলত শ্রমিক অসন্তোষের জন্য শ্রমিকনেতাদের একটি পক্ষ শাজাহান খানকে দায়ী করলে সভায় হট্টগোল হয়।নাজমা আক্তার সাংবাদিকদের বলেন, বৈঠকে বর্তমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতি কীভাবে শান্ত করা যায়, সেসব নিয়েই মূলত আলোচনা হয়েছে। মজুরি নিয়ে তেমন আলোচনা হয়নি। তবে মজুরি বৃদ্ধির বিষয়ে বিজিএমইএর নেতারা ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছেন।সম্প্রতি ব্যাপকমাত্রার সাইবার হামলার শিকার হয়ে তিন কোটি ৮০ লাখ ব্যবহারকারীর তথ্য খুইয়েছে অ্যাডোবি। সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠানটি এর আগে বলেছিল, সাইবার হামলায় সোর্স কোডসহ মাত্র ২৯ লাখ ব্যবহারকারীর তথ্য চুরি হয়েছিল।বিবিসি অনলাইনের এক খবরে বলা হয়েছে, সাইবার হামলার শিকার হওয়ার ঘটনাটি নিশ্চিত করে অ্যাডোবি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে ধারণার চেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে এ সাইবার হামলায়। এ হামলায় ছবি সম্পাদনের জনপ্রিয় সফটওয়্যার ফটোশপের সোর্সকোড চুরি হয়েছে।অ্যাডোবি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দুর্ভাগ্যজনক সাইবার হামলার কারণে ব্যবসা করা মুশকিল হয়ে দাঁড়িয়েছে। অ্যাডোবির জনপ্রিয় ‘অ্যাক্রোব্যাট’ ‘কোল্ডফিউশান’-এর মতো পণ্যগুলোর সোর্স কোড হাতিয়ে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা। একই সঙ্গে অ্যাডোবির গ্রাহকদের পাসওয়ার্ড, ব্যক্তিগত তথ্য চুরি হয়েছে।ইন্টারনেট নিরাপত্তা বিষয়ক প্রতিষ্ঠান সফোসের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সোর্স কোড চুরির ঘটনায় মারাত্মক প্রভাব পড়তে পারে। সারা বিশ্বের কয়েক কোটি কম্পিউটারে অ্যাডোবি সফটওয়্যার ব্যবহূত হয়। যদি অ্যাডোবির সফটওয়্যার আপডেটের সময় দুর্বৃত্তরা কোনো ভাইরাস কোড প্রবেশ করিয়ে দেয় তখন তাদের হাতে অসংখ্য কম্পিউটারের নিয়ন্ত্রণ চলে যাবে।১৮-দলীয় জোটের হরতাল অবরোধ ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার সফিপুর বাজার এলাকায় গত বুধবার অবরোধবিরোধী মিছিলে যোগ দিতে ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারে আসেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন সিকদার।উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা মোটরসাইকেল নিয়ে কামালকে স্বাগত জানান। পরে তিনি নেতা-কর্মীদের নিয়ে মিছিল সহকারে সফিপুরসহ আশপাশের এলাকা প্রদক্ষিণ করেন। মিছিল পরিণত হয় নির্বাচনী মহড়ায়।দলীয় নেতা-কর্মীদের কাছ থেকে জানা গেছে, গাজীপুর-১ আসনের (গাজীপুর সদর ও কালিয়াকৈর উপজেলা) আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশী সাংসদ আ ক ম মোজাম্মেল হক। ওই আসন থেকে মনোনয়ন যুদ্ধে নেমেছেন কালিয়াকৈর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দিন সিকদার। তিনি দলীয় মনোনয়নপত্রও জমা দিয়েছেন।অবসরে যাওয়ার খবর ভিত্তিহীন ও বিভ্রান্তিকর বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। তিনি বলেন, ‘আমি জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান। আমি এখনো জীবিত আছি। যত দিন জীবিত আছি, তত দিন আমিই চেয়ারম্যান।’আজ শনিবার বারিধারার প্রেসিডেন্ট পার্কের নিজ বাসভবনে বেলা সোয়া দুইটার দিকে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন এরশাদ...বিস্তারিত
বাগেরহাটের রামপালে তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন থেকে সরকার ১১ অক্টোবরের মধ্যে সরে না এলে ১২ অক্টোবর থেকে সুন্দরবন রক্ষায় নতুন কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি করেছে জাতীয় তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি।গতকাল শনিবার মংলার দিগরাজ বাসস্ট্যান্ডে পাঁচ দিনের লংমার্চের কর্মসূচির শেষ দিনে সুন্দরবন ঘোষণাপত্র পাঠের মধ্য দিয়ে মংলায় জাতীয় তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির লংমার্চ কর্মসূচি শেষ হয়। এর আগে গতকাল বিকেল চারটায় লংমার্চ বাগেরহাট থেকে মংলার দিগরাজে পৌঁছায়। এখানে সমাপনী সমাবেশে সুন্দরবন ঘোষণাপত্র পাঠ করেন জাতীয় তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্যসচিব অধ্যাপক আনু মুহামঞ্চদ। ঘোষণাপত্রে বলা হয়, সরকার ১১ অক্টোবরের মধ্যে রামপালে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ থেকে সরে না এলে ১২ অক্টোবর থেকে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে। বিদ্যুৎ উৎপাদনের বহু ব্যবস্থা আছে, কিন্তু সুন্দরবনের বিকল্প নেই।জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক প্রকৌশলী শেখ মুহমঞ্চদ শহীদুল্লাহর সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন সিপিবির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবু জাফর আহমেদ, রুহিন হোসেন প্রিন্স, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরোর সদস্য কমরেড বিমল বিশ্বাস, বাসদের সাধারণ সম্পাদক কমরেড খালেকুজ্জামান, গণসংহতির সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকীসহ সাহিত্যিক-সাংবাদিক-শিল্পী-পরিবেশবিদ-অর্থনীতিবিদ-প্রকৌশলী-মানবাধিকার কর্মীসহ জাতীয় নেতারা।শেখ মুহমঞ্চদ শহীদুল্লাহ বলেন, রামপালে তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের নামে সুন্দরবন ধ্বংস করে ভারতীয় এনটিপিসি লভ্যাংশের সিংহভাগ নিয়ে যাবে। তাদের এ স্বার্থ কোনোক্রমেই হাসিল করতে দেওয়া হবে না। তিনি বলেন, এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে পরিবেশসহ সব মিলিয়ে বাংলাদেশের প্রায় ছয় লাখ কোটি টাকার ক্ষতিসাধন হবে।বাগেরহাটে সমাবেশ: সুন্দরবন অভিমুখে লংমার্চ কর্মসূচির শেষ দিনে গতকাল বাগেরহাট শহরের পুরোনো কোর্ট চত্বরে এক সমাবেশে শেখ মুহম্মদ শহীদুল্লাহ বলেন, রামপালে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের পরিকল্পনা বাতিল দলমত-নির্বিশেষে গণমানুষের দাবি।জাতীয় কমিটির বাগেরহাট শাখার আহ্বায়ক রণজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তৃতা করেন জাতীয় কমিটির সদস্যসচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ ও সদস্য রুহিন হোসেন প্রিন্স। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন বাসদের খালেকুজ্জামান, বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির বিমল বিশ্বাস, গণফ্রন্টের টিপু বিশ্বাস, গণসংহতি আন্দোলনের জোনায়েদ সাকী প্রমুখ।অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ তাঁর বক্তৃতায় বলেন, ‘বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের গবেষণায় সুন্দরবনের ক্ষতির যে চিত্র উঠে এসেছে, তা সরকার অস্বীকার করতে পারেনি। কারণ, তা বিজ্ঞানসম্মত ও যুক্তিযুক্ত। তাই সরকার মিথ্যা প্রেসনোট দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। আমরা সুন্দরবনকে হারাতে দেব না।’এর আগে বেলা পৌনে একটায় খুলনা থেকে লংমার্চটি বাগেরহাটের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল-সংলগ্ন ট্রাফিক মোড়ে পৌঁছায়। সেখান থেকে লংমার্চের প্রায় চার হাজার কর্মী বৃষ্টি উপেক্ষা করে হেঁটে বাগেরহাট শহরে প্রবেশ করেন। বাগেরহাট থেকে বেলা সাড়ে তিনটায় লংমার্চটি শহরের রেলরোড থেকে সুন্দরবন-সংলগ্ন মংলার দিগরাজের উদ্দেশে রওনা হয়।খুলনায় সমাবেশ: গতকাল সকাল ১০টায় খুলনা থেকে বাগেরহাটের উদ্দেশে রওনা হয় লংমার্চ। এর আগে সকাল সাড়ে নয়টায় খুলনা নগরের শহীদ হাদিস পার্ক হলে এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয় কমিটির খুলনা জেলা আহ্বায়ক মনোজ দাসের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তারা বলেন, ‘কিছু মানুষ বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। তারা বলছে, ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ থেকে ৭৪ কিলোমিটার দূরে প্রস্তাবিত বিদ্যুৎকেন্দ্রটি, এটি একটি বড় মিথ্যাচার।’ এ সময় শহীদ হাদিস পার্ক ও এর আশপাশের এলাকা স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে।জিতলেই সিরিজ নিশ্চিত। ভারতের বিপক্ষে সিরিজের ষষ্ঠ ওয়ানডেতে এমন সমীকরণ নিয়ে ব্যাট করতে নেমে রানের পাহাড় গড়েছে অস্ট্রেলিয়া। সেঞ্চুরি করেছেন শেন ওয়াটসন ও জর্জ বেইলি। নির্ধারিত ওভার শেষে জোড়া সেঞ্চুরিতে সফরকারীদের সংগ্রহ দাঁড়িয়েছে ৬ উইকেটে ৩৫০ রান।দলীয় সর্বোচ্চ ১৫৬ এসেছে অধিনায়ক বেইলির ব্যাট থেকে। তাঁর ১১৪ বলের নান্দনিক ইনিংসটিতে ছিল ১৩টি চার ও ছয়টি ছয়ের মার। ১৩ চার আর তিন ছয়ে ৯৪ বলে ১০২ রান করেন ওয়াটসন।এ ম্যাচে টস জিতে অস্ট্রেলিয়াকে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানান ভারতীয় অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি। ধোনির সিদ্ধান্তটা শুরুর দিকে যথার্থই মনে হচ্ছিল। ৪৫ রানের মধ্যে উদ্বোধনী দুই ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে বসে অসিরা। ফিল হিউজ ব্যক্তিগত ১৩ ও আরোন ফিঞ্চ ২০ রানে আউট হন। কিন্তু তৃতীয় উইকেটে পাল্টে যায় দৃশ্যপট। ভারত যখন তৃতীয় উইকেটের দেখা পায়, ততক্ষণে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ দাঁড়ায় ২১৩ রান। বেইলি-ওয়াটসনের ১৬৮ রানের ভাঙেন মোহাম্মদ শামি।ওয়াটসনের বিদায়ের পর বেইলির সঙ্গী হন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। তবে অধিনায়ককে সঙ্গটা দিতে পারেননি তিনি। ফিরে যান মাত্র ৯ রান করে। এরপর উইকেটে আসা অ্যাডাম ভোগস অবশ্য যথার্থই খেলেছেন। ইনিংস শেষ হওয়ার সময় ৪৪ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। মনে হচ্ছিল, অপরাজিত থেকেই ইনিংস শেষ করবেন বেইলি। সেটা হয়নি, জাদেজার বলে কোহলির হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান মাত্র চার বল বাকি থাকতে। ততক্ষণে অবশ্য ভারতের যা ক্ষতি করার তা করে ফেলেছেন তিনি।সংক্ষিপ্ত স্কোর:অস্ট্রেলিয়া: ৩৫০/৬ (৫০ ওভার)বেইলি ১৫৬, ওয়াটসন ১০২, ভোগস ৪৪*জাদেজা ২/৬৮, অশ্বিন /৬৪টস: ভারতসূত্র: ক্রিকইনফোভারতের পররাষ্ট্রসচিব সুজাতা সিং আগামী ৪ ডিসেম্বর দুই দিনের সফরে ঢাকায় আসছেন। গত ১ আগস্ট ভারতের ২৯তম পররাষ্ট্রসচিবের দায়িত্ব নেওয়ার পর এটাই তাঁর প্রথম বাংলাদেশ সফর।গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা এবং দিল্লিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা প্রথম আলোকে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানায়, ভারতের পক্ষ থেকে গত বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সুজাতা সিংয়ের সফরের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। গত সেপ্টেম্বরে তাঁকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ঢাকা সফরের আমন্ত্রণ জানানো হয়।ঢাকা ও নয়াদিল্লির কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানিয়েছে, সুজাতা সিং এ সফরের সময় পররাষ্ট্রসচিব মো. শহীদুল হকের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠক করবেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে পারেন।সূত্রগুলো জানিয়েছে, সুজাতা সিং এমন এক সময়ে বাংলাদেশ সফরে আসছেন, যখন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক সংকট চলছে। দ্বিপক্ষীয় বিষয়গুলোর পাশাপাশি তিনি রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়েও এখানকার নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করতে পারেন।দিল্লির কূটনৈতিক সূত্র জানায়, ৫ ডিসেম্বর শুরু হচ্ছে ভারতের সংসদের শীতকালীন অধিবেশন। ২০ ডিসেম্বর অধিবেশন সমাপ্ত হবে। এই অধিবেশনে রাজ্যসভায় সীমান্ত প্রটোকল বাস্তবায়নের বিল উত্থাপনে বাংলাদেশকে আশ্বাস দিয়েছে ভারত।দক্ষিণ আফ্রিকার অবিসংবাদিত নেতা নেলসন ম্যান্ডেলার শেষকৃত্য অনুষ্ঠান বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর নেতাদের এক করতে যাচ্ছে। ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে, শত্রুতা ভুলে উত্তর-দক্ষিণ, পূর্ব-পশ্চিম প্রান্ত থেকে বিশ্ব নেতারা দক্ষিণ আফ্রিকা যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন...বিস্তারিত
রাজধানীর মিরপুরে গতকাল শনিবার দুপুরে বাসায় ঢুকে এবার এক আবাসন ব্যবসায়ীকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এই ব্যবসায়ীর নাম জাফরুল হক ওরফে মোক্তার হোসেন মিনা (৫০)। তিনি ‘হোম টেক ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড’-এর স্বত্বাধিকারী।মিরপুরে রূপনগর থানা এলাকার ৬ নম্বর সেকশনে ‘ট’ ব্লকে নিজের ছয়তলা বাড়ির দোতলায় পরিবার নিয়ে থাকতেন জাফরুল। নিচতলায় বাড়ির প্রধান ফটক দিয়ে ঢুকে হাতের বাঁ পাশে তাঁদের বসার কক্ষ। ওই কক্ষে থাকা একটি ছোট সিঁড়ি দিয়ে দোতলার বাসায় আসা-যাওয়া করা হয়।স্থানীয় সূত্র ও রূপনগর থানার পুলিশ জানায়, গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নিচতলার কক্ষটিতে সোফায় বসে ছিলেন জাফরুল। এ সময় এক যুবক সেখানে ঢুকে তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি করে মোটরসাইকেলের পেছনে বসে পালিয়ে যান।চিৎকার শুনে দোতলা থেকে পরিবারের সদস্যরা আসার আগেই দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনে ও পরে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে বেলা দুইটার দিকে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। তাঁর ডান বুকে ও ডান হাতে গুলিবিদ্ধ হয়েছে। জাফরুলের ছেলে রাজীব আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, গুলিবর্ষণকারী যুবককে তিনি মোটরসাইকেলের পেছনে উঠে চলে যেতে দেখেছেন। দুই যুবককে তিনি চিনতেও পেরেছেন। মাদারীপুরের শিবচরের ক্রোকচরে প্রতিপক্ষ সিকদার বাড়ির লোক তাঁরা।রাজীব বলেন, গ্রামে তাঁর দাদা-দাদি থাকেন। সেখানে তাঁদের দেখতে যান তাঁর বাবা। দুই বছর আগে গেলে সিকদার বাড়ির লোকজন তাঁর বাবার কাছে পাঁচ লাখ চাঁদা দাবি করেন। এতে অস্বীকৃতি জানান তাঁর বাবা। এ ঘটনায় শিবচর থানায় একটি মামলা হয়। পরে তাঁর বাবা আবার গ্রামের বাড়িতে গেলে সিকদারের বাড়ির লোকজন তাঁকে পেটান এবং গাড়ি ভাঙচুর করেন। এ ঘটনায় একই থানায় আরেকটি মামলা হয়। ওই মামলার এক আসামি জামিন নিয়ে বিদেশে চলে যান। ওই আসামির পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী তাঁর বাবাকে হত্যা করা হয়েছে।বাড়ির নিরাপত্তাকর্মী মো. শাহীন বলেন, বাড়ির প্রধান ফটকের ছোট দরজা খোলা ছিল। জাফরুলের পাঁচতলার বাসা পরিষ্কার করতে তিনি ওপরে গিয়েছিলেন।জাফরুলের ভাই পল্লবী থানা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক অলিউল হক প্রথম আলোকে বলেন, জাফরুল পল্লবী থানা আওয়ামী লীগের একটি ওয়ার্ডের ইউনিট সদস্য ছিলেন। চাঁদা না দেওয়া ও জমিসংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে সিকদার বাড়ির লোকজন তাঁকে হত্যা করেছে।রূপনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিকদার মো. শামীম হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, পরিবারের অভিযোগের সূত্র ধরে তদন্ত শুরু হয়েছে। মামলা করার প্রক্রিয়া চলছে। লাশ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।টানা তিন দিন ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার পর আজ বুধবার নিম্নমুখী প্রবণতায় শেষ হয়েছে দেশের শেয়ারবাজারের লেনদেন। দিনের লেনদেন দুই বাজারেই অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। এর ফলে সূচকও কমেছে। একই সঙ্গে ডিএসইতে লেনদেন কমলেও সিএসইতে সামান্য বেড়েছে।ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে জানা যায়, আজ ডিএসইর ডিএসইএক্স সূচক ৪৩ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে তিন হাজার ৯৪৬ পয়েন্টে। এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় ডিএসইতে লেনদেন শুরু হয়। একপর্যায়ে সূচক ৩৩ পয়েন্ট বেড়ে যায়। দুপুর ১২টার পর থেকে সূচক নিম্নমুখী হয়, যা লেনদেনের শেষ পর্যন্ত অব্যাহত ছিল।ডিএসইতে আজ ২৮০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ১২৪টির দাম বেড়েছে, কমেছে ১২৫টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৩১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম।আজ এই স্টক এক্সচেঞ্জে ৩৮৪ কোটি টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড লেনদেন হয়েছে, যা গতকালের চেয়ে সাত কোটি টাকা কম। গতকাল এই বাজারে ৩৯১ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছিল।ডিএসইর পাশাপাশি চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচক ও লেনদেনে কমেছে। দিনের লেনদেন শেষে সিএসইর সার্বিক মূল্য সূচক ১৩২ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১২ হাজার ২১১ পয়েন্টে।সিএসইতে আজ ২০৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড হাত বদল হয়েছে। এর মধ্যে ৭৯টির দাম বেড়েছে, কমেছে ১০৭টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ১৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম।সিএসইতে আজ ৩৫ কোটি টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড লেনদেন হয়েছে, যা গতকালের চেয়ে এক কোটি টাকা বেশি। গতকাল এই বাজারে ৩৪ কোটি টাকা লেনদেন হয়।এ দিকে ডিএসইতে আজ লেনদেনে শীর্ষে ছিল জেনারেশন নেক্সট ফ্যাশন। আজ এই প্রতিষ্ঠানের ২৮ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। এ ছাড়া বিএসসিসিএল, আরগন ডেনিমস, ইউসিবিএল, সামিট পূর্বাঞ্চল পাওয়ার কোম্পানি, মালেক স্পিনিং, এনভয় টেক্সটাইল, ইউনাইটেড এয়ার, বেক্সিমকো, তাকাফুল ইনস্যুরেন্স প্রভৃতি লেনদেনের শীর্ষে উঠে আসে।সদ্য অনুমোদন পাওয়া গাজীপুর মেডিকেল কলেজে ১ জানুয়ারি থেকে ক্লাস শুরু হচ্ছে। ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষে ৫০ জন শিক্ষার্থী নিয়েই চালু হচ্ছে এর শিক্ষা কার্যক্রম।২৩ নভেম্বর বিকেলে গাজীপুর সার্কিট হাউসে স্বাস্থ্যসচিব এম এম নিয়াজ উদ্দিন এক মতবিনিময় অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানান। গাজীপুর সদর হাসপাতালকে ১৮ নভেম্বর মেডিকেল কলেজ হিসেবে অনুমোদন দেয় সরকার।সচিব নিয়াজ উদ্দিন আরও জানান, এরই মধ্যে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক গোলাম কিবরিয়া খানকে গাজীপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। শিক্ষক নিয়োগসহ অন্যান্য আনুষঙ্গিক কার্যক্রমও দ্রুত এগিয়ে চলছে।গুগলের যে প্রযুক্তি সক্ষমতা ও দক্ষ প্রকৌশলী রয়েছে তা দিয়ে সহজেই ড্রোন বা চালকবিহীন বিমান তৈরি করা সম্ভব। আর এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পথেই রয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।প্রযুক্তিবিশ্লেষকেরা বলছেন, আগামীতে ড্রোন বা চালকবিহীন বিমানের যুগ আসছে। গোয়েন্দাগিরি, জরুরি অবস্থায় প্রয়োজনীয় সাহায্য পৌঁছে দেওয়া, দুর্গম স্থানে সহজে যোগাযোগ সব কাজেই ড্রোনের ব্যবহার বাড়বে। তবে প্রযুক্তি-প্রতিষ্ঠান আমাজনের প্রধান নির্বাহী জেফ বেজোস অনলাইনে পণ্য ক্রেতাদের কাছে সহজে পণ্য পৌঁছে দেওয়ার জন্য ড্রোন ব্যবহারের কথা জানানোর পর এ নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা। সম্প্রতি নিউ ইয়র্ক টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে গুগলের কর্মকর্তা অ্যান্ডি রুবিন জানিয়েছেন ড্রোন নিয়ে তাঁদের পরিকল্পনার কথা...বিস্তারিত
পুরান ঢাকার মিটফোর্ড এলাকার নয়টি মার্কেটে ভেজাল ও মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রির অভিযোগে গতকাল শনিবার ২০ ব্যবসায়ীকে এক বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। বাকি ৮৩ জনকে প্রায় সোয়া কোটি টাকা জরিমানা করা হয়। গতকাল রাতের মধ্যে জরিমানার টাকা দিতে ব্যর্থ হলে তাঁদের প্রত্যেককে তিন মাস করে কারাভোগ করতে হবে।এসব ঘটনায় মোট ৮০টি মামলা এবং বিভিন্ন মার্কেটের ২৮টি ওষুধের দোকান ও গুদাম সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে। অভিযান চলাকালে ওষুধ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে হাতাহাতির ঘটনায় র‌্যাবের একজন সদস্য আহত হন।র‌্যাব সদস্য আহত হওয়ার পর ওই এলাকায় বিশেষ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। প্রায় দিনভর মিটফোর্ড এলাকা ছিল অস্থিতিশীল। যানজটে প্রায় থমকে যায় ওই এলাকার জীবনযাত্রা। মিটফোর্ডের অধিকাংশ ওষুধের মার্কেটে ভেতর থেকে তালা লাগিয়ে ব্যবসায়ী ও কর্মচারীদের আটকে রেখে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে র‌্যাবের প্রায় ২০০ সদস্য অংশ নেন, ওষুধ প্রশাসনসহ অন্যান্য সংস্থার সদস্য ছিলেন আরও প্রায় ১০০।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ওষুধ ব্যবসায়ী জানান, কয়েক বছরের মধ্যে মিটফোর্ডে ওষুধের মার্কেটে এ ধরনের মারমুখী অভিযান হয়নি। অন্যদিকে র‌্যাব সদস্যরা বলছেন, ব্যবসায়ীরা জোট বেঁধে যেভাবে বাধা দিচ্ছিলেন, তাতে সাঁড়াশি অভিযানের কোনো বিকল্প ছিল না।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেলা ১১টার দিকে র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত খান ও সর্দার মার্কেটে গেলে ওষুধ ব্যবসায়ীরা প্রথমে বাধা দেন। হাতাহাতির একপর্যায়ে র‌্যাবের সদস্য আমিনুর রহমানের (২৭) মাথা ফেটে গেলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। তাঁকে মিটফোর্ড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে র‌্যাবের অতিরিক্ত সদস্যরা অভিযানে যুক্ত হন, গোটা এলাকা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় কয়েক দফা ব্যবসায়ীদের বাধার মুখে পড়েন র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।র‌্যাব সূত্র জানায়, গতকাল সকাল ১০টার দিকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শরীফ মোহাম্মদ ফরহাদ হোসেনের নেতৃত্বে র‌্যাব মিটফোর্ড এলাকায় ভান্ডারি মার্কেট, খান মার্কেট, আমিন মার্কেট, আমির মার্কেট, আলিফ লাম মীম মার্কেট, নায়লা মার্কেট, নুরপুরী মার্কেট, বিসিবিএস ও আলী মার্কেটে অভিযান চালায়। এতে অংশ নেন ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল জাহাঙ্গীর হোসেন মল্লিক ও র‌্যাব-১০-এর পরিচালক লে. কর্নেল ইমরান ইবনে এ রউফ এবং বিএসটিআইয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।শরীফ মোহাম্মদ ফরহাদ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলা এ অভিযানে প্রচুর পরিমাণে মেয়াদোত্তীর্ণ, ভেজাল, অবৈধ ও নিম্নমানের ওষুধ, নানা রকম সম্পূরক খাদ্য, ব্যথানাশক ওষুধ ছিল। এসব ওষুধ সংরক্ষণ-প্রক্রিয়া ও বিক্রিতে জড়িত থাকার অভিযোগে ১০৩ জন ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ২০ জনকে এক বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয় এবং পরে তাঁদের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, র‌্যাবের সদস্যরা ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে সহযোগিতা পাননি। তা ছাড়া সাদাপোশাকে থাকায় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে তাঁদের ভুল-বোঝাবুঝি হয়। একপর্যায়ে হাতাহাতিতে র‌্যাবের একজন সদস্য সামান্য আহত হয়েছেন।বাংলাদেশ কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতির সহকারী সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন বলেন, মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ থাকাটা অস্বাভাবিক নয়। ভেজাল ও নিম্নমানের ওষুধ পরীক্ষাগারে পরীক্ষা ছাড়াই র‌্যাব কোনোভাবেই এটা বলতে পারে না। তিনি আরও বলেন, গতকাল সকালে মিটফোর্ড রোডের কোনো একটি ওষুধের মার্কেটে অভিযান চালাতে গেলে ধস্তাধস্তিতে একজন র‌্যাব সদস্য আহত হন। এর জের ধরে র‌্যাব বিভিন্ন মার্কেটের ভেতর থেকে তালা লাগিয়ে অবস্থান নেয়। তারা সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ব্যবসায়ী ও কর্মচারীদের অবরুদ্ধ করে রাখে। বিশেষ প্রয়োজনেও কাউকে বের হতে দেয়নি।মনির হোসেন বলেন, র‌্যাব অমানবিকভাবে ব্যবসায়ী ও কর্মচারীদের পিটিয়ে আহত করেছে। সারা বছরে যে পরিমাণ লাভ হয়, একেকজন ব্যবসায়ীকে তার চেয়ে বেশি জরিমানা করা হয়েছে।এক প্রশ্নের জবাবে মনির হোসেন জানান, ব্যবসায়ীরা র‌্যাব সদস্যদের অসহযোগিতা করেননি। ব্যবসায়ীরা অভিযানে বাধা দেয়নি কিংবা র‌্যাবের সঙ্গে সংঘর্ষেও লিপ্ত হয়নি। তার পরও যেভাবে জেল-জরিমানা ও মারধরের ঘটনা ঘটেছে, তা অমানবিক। তিনি বলেন, ভেজাল ওষুধ খুঁজতে হলে র‌্যাবকে ভেজাল ওষুধ কারখানায় অভিযান চালানো উচিত।অনেক দিন ধরেই প্রেম করছেন ‘শুদ্ধ দেশি রোমান্স’ তারকা সুশান্ত সিং রাজপুত ও ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী অঙ্কিতা লোখান্ডে। ইদানীং তাঁদের সম্পর্কে টানাপোড়েন চলছে। সম্প্রতি মুম্বাইয়ের যশরাজ স্টুডিওতে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়ের একপর্যায়ে প্রকাশ্যে সুশান্তের গালে চড় মেরে মুখরোচক খবরের জোগান দিলেন অঙ্কিতা।অঙ্কিতার এমন কীর্তির পেছনের কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া না গেলেও এক খবরে ‘ইন্ডিয়া টুডে’ জানিয়েছে, সম্প্রতি যশরাজ স্টুডিওতে ঢুকে সুশান্তকে স্টুডিওর বাইরে যেতে বলেন অঙ্কিতা। তিনি সুশান্তের মোবাইল ফোন চেয়ে নেন। ফোনে কিছু একটা দেখে প্রচণ্ড খেপে যান অঙ্কিতা। তাঁদের মধ্যে তুমুল বাগিবতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে সবার সামনেই সুশান্তের গালে চড় মেরে বসেন অঙ্কিতা।একতা কাপুরের বালাজি টেলিফিল্মস প্রযোজিত জনপ্রিয় টিভি সিরিজ ‘পবিত্র রিশতা’য় একসঙ্গে অভিনয় করতে গিয়ে প্রণয়ের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল সুশান্ত ও অঙ্কিতার মধ্যে। ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারিতে নাচবিষয়ক টিভি রিয়েলিটি শো ‘ঝলক দিখলা যা’য় সবার সামনে অঙ্কিতাকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়েছিলেন সুশান্ত। পরবর্তী সময়ে তাঁদের বাগদান সম্পন্ন হয়েছে। অনেক দিন থেকেই এক ছাদের নিচে বসবাস করছেন এ তারকা জুটি।ছোট পর্দায় সফল অভিনেতা হিসেবে নিজেকে প্রমাণের পর চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে মুক্তি পাওয়া ‘কাই পো চে’ ছবির মাধ্যমে বলিউডে পা রাখেন সুশান্ত। প্রথম ছবিতে তাঁর অভিনয় প্রশংসিত হয় বিভিন্ন মহলে। গত ৬ সেপ্টেম্বর মুক্তি পেয়েছে তাঁর অভিনীত দ্বিতীয় ছবি ‘শুদ্ধ দেশি রোমান্স’। সুশান্ত ও পরিনীতি চোপড়া অভিনীত ছবিটি বক্স অফিসে দারুণ সাফল্য দেখিয়েছে। ২৫ কোটি রুপি বাজেটের ছবিটি প্রথম তিন সপ্তাহে আয় করেছে ৪৬ কোটি রুপি। ভারতের সীমানা পেরিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশেও ভালো ব্যবসা করেছে ছবিটি।এত এত সাফল্য পেয়ে সুশান্তের ওপর অহংকার ভর করায় না কি অন্য কারও সঙ্গে প্রণয়ে জড়ানোয় অঙ্কিতা তাঁকে প্রকাশ্যে চড় মারলেন তা জানার জন্য আপাতত অপেক্ষা করা ছাড়া আর কোনো পথ খোলা নেই।জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিবের আসন্ন ঢাকা সফরের সময় বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে ‘বড় ধরনের অগ্রগতি’ হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত জার্মানির রাষ্ট্রদূত আলব্রেখট কনজে।গতকাল বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সঙ্গে তাঁর দপ্তরে বৈঠকের পর জার্মান রাষ্ট্রদূত সাংবাদিকদের কাছে বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে তাঁর এ আশাবাদ তুলে ধরেন।আগামী ৬ ডিসেম্বর পাঁচ দিনের সফরে ঢাকায় আসছেন জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব অস্কার ফার্নান্দেজ তারানকো।আলব্রেখট কনজে বলেন, ‘অস্কার ফার্নান্দেজ তারানকোর আসন্ন সফরটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সফরটি শেষ মুহূর্তে হলেও তা ঠিক সময়েই হচ্ছে। কাজেই আমাদের সবার প্রত্যাশা তাঁর সফরের আগেই দুই পক্ষ দায়িত্বশীল পদক্ষেপ নেবেন। এ সফরের সময় বড় ধরনের অগ্রগতি হবে এবং এ প্রক্রিয়ার সঙ্গে জার্মান সরকার অব্যাহতভাবে কাজ করবে। আমি বিশ্বাস করি, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এ জন্য কাজ করে যাবে।’কাল বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটার মধ্যে দাবি না মানলে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন বিএনপির মুখপাত্র সালাহউদ্দিন আহমদ। আজ বুধবার সকালে অজ্ঞাত স্থান থেকে কয়েকটি গণমাধ্যমে পাঠানো এক ভিডিও বার্তায় তিনি এ আলটিমেটাম দেন। ভিডিও বার্তায় দেখা যায়, আত্মগোপনে থাকা বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, ‘আগামীকাল বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটার মধ্যে দাবি মানার ঘোষণা না দিলে, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের স্বার্থে আমরা আরও কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব।’...বিস্তারিত
সীমা বৌদ্ধবিহারের দিকে তাকালেই চোখ ধাঁধিয়ে যায়। ঝকঝকে মেঝে আর দেয়াল। নতুন রঙের প্রলেপ সর্বত্র। উঠানে ঢুকতেই রঙের কড়া গন্ধ ধাক্কা দেয় নাকে। এর একটু দূরে উত্তর মিঠাছড়ি পাহাড়ের নিচে বিমুক্তি বিদর্শন ভাবনা কেন্দ্রের বিশাল ফটক। ওপরে ১০০ ফুট লম্বা সিংহশয্যায় বুদ্ধের আধা শোয়া মূর্তি, নতুনের ছাপ তাতেও।আজ থেকে এক বছর আগে অর্থাৎ ২০১২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে ভয়াবহ হামলায় এসব মন্দিরসহ আশপাশের অনেক ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। সরকারি খরচে সেনাবাহিনীর দায়িত্বে রামু, উখিয়া ও টেকনাফে ১৯টি মন্দির নতুন করে নির্মাণ করা হয়েছে। এখন দলে দলে বুদ্ধের অনুসারীরা আসছেন, আসছেন পর্যটকও। ফেসবুকে আপত্তিকর ছবি যুক্ত করে ধর্মীয় অবমাননার অভিযোগ তুলে এ হামলা চালানো হয়।নতুন বিহার, নতুন বুদ্ধমূর্তি ও বাড়িঘর পেয়ে আপাতত সবাই খুশি। তবে বৌদ্ধধর্মাবলম্বীদের মনের ক্ষত রয়ে গেছে। সেদিনের হামলার ক্ষতিটা শুধু বৈষয়িক বা বস্তুগতই ছিল না, আঘাতটা তীব্রভাবে লাগে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের মনে। তাঁদের বিশ্বাস টলে যায়, আর চুরমার হয়ে যায় নিরাপত্তার বোধও। এক বছরে তাতে কতটুকু জোড়া লেগেছে, তার জবাব পাওয়া গেল এই অঞ্চলের একজন ধর্মীয় গুরু সত্যপ্রিয় মহাথেরোর মুখ থেকে। গত শুক্রবার রাতে সীমাবিহারের ধর্মীয় আসনে বসা অশীতিপর এ বৃদ্ধ বললেন, ‘আমাদের শত্রু আরও বেড়েছে, দিনে দিনে আমরা আরও নিরাপত্তাহীন হয়ে পড়ছি। জানি না ভবিষ্যতে কী হবে!’মহাথেরোর অভিযোগ, সেদিন যারা হামলা করেছিল, তারা এখন প্রকাশ্যে ঘুরছে। ৩ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রীর রামু সফরের সময় তারা মন্দিরের ভেতরে ঢোকার চেষ্টাও করেছিল। শুরু থেকেই এদের গ্রেপ্তারের দাবি করা হচ্ছে। কিন্তু পুলিশ তাদের ধরেনি। এমনকি পুলিশ যে সাতটি মামলার অভিযোগপত্র দিয়েছে, তাতেও এদের আসামি করা হয়নি। উল্টো পুলিশ শত শত নিরীহ লোককে ধরে কারাগারে পাঠিয়েছে। কারাবাসের পর তারা বের হয়ে আসছে। তারাও কিন্তু স্থানীয় বৌদ্ধদের ওপর ক্ষিপ্ত হচ্ছে। মহাথেরো বললেন, ‘সব মিলে আমাদের শত্রু কয়েক গুণ বেড়ে গেছে।’সত্যপ্রিয় মহাথেরো বললেন, ‘আওয়ামী লীগের লোকজন বলছেন, হামলা করেছে বিএনপি। আর বিএনপি বলে আওয়ামী লীগ। আমরা পড়েছি দুইয়ের মাঝে। জানি, এর বিচার কোনো দিনই পাব না। কিন্তু এ মুহূর্তে বিচারের আগে আমাদের দরকার স্থায়ী নিরাপত্তা। আপাতত এটুকু পেলেই বাঁচতে পারব।’জেলা পুলিশ সূত্র জানায়, বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের নিরাপত্তার জন্য রামুতে সার্বক্ষণিক বিজিবি মোতায়েন করা আছে। বিজিবির ২০০ সদস্য পাহারা দিচ্ছেন। এর পাশাপাশি পুলিশও আছে।রামু, উখিয়া, সদর ও টেকনাফ উপজেলার বৌদ্ধমন্দির ভাঙচুর ও হামলার সাতটি মামলার অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশ। কিন্তু ৩৬৪ জন আসামির মধ্যে পরিচিত কেউ নেই। যাদের নাম দেওয়া হয়েছে, তাদের কাউকে চেনে না এলাকার লোকজন। আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের স্থানীয় নেতাদের পাশাপাশি টেকনাফের মন্দিরে হামলা ও ভাঙচুর মামলায় অভিযুক্ত হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও জামায়াতের নেতা নূর আহমদ আনোয়ারী, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সলিমুল্লাহ বাহাদুরসহ অনেকে ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। কিন্তু সাত মামলার অভিযোগপত্রে এঁদের কারও নাম নেই।বৌদ্ধ নেতারা বললেন, হামলার ঘটনা নিয়ে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনারকে প্রধান করে করা তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গত ফেব্রুয়ারি মাসে সরকারের কাছে প্রতিবেদন দাখিল করে। এতে হামলার জন্য বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সদস্যসহ ২০৫ জনকে অভিযুক্ত করা হয়। কিন্তু আদালতে দাখিল করা পুলিশের সাত মামলার অভিযোগপত্রে চিহ্নিত কারও নাম নেই।বৌদ্ধ নেতাদের অভিযোগ, এর আগে হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত ১৬ জন অভিযুক্তের নাম তাঁরা পুলিশ সুপারের কাছে দিয়েছিলেন। এঁরা এলাকার আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগ, বিএনপি ও জামায়াতের নেতা-কর্মী। বৌদ্ধরা মনে করেছিলেন, অভিযোগপত্রে তাঁদের নাম থাকবে। কিন্তু পুলিশ যেমন তাঁদের গ্রেপ্তার করছে না, তেমনি অভিযোগপত্রেও নাম দেয়নি।জেলা পুলিশ সুপার মো. আজাদ মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, রামু, উখিয়া ও টেকনাফে মন্দিরে হামলার ঘটনায় মোট ১৯টি মামলা হয়েছিল। সাতটি মামলায় ৩৬৪ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে। এসব ছোটখাটো মামলা। তবে রামু ও উখিয়ার প্রাচীন বৌদ্ধবিহারে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের আরও ১২টি মামলার অভিযোগপত্র এক মাসের মধ্যে দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে। প্রমাণ পাওয়া গেলে রাজনৈতিক দলের নেতাদের নামও যুক্ত করা হতে পারে। কিন্তু সমস্যা হলো, বৌদ্ধরা নাম বললেও সাক্ষ্য দিতে রাজি হচ্ছেন না। এখন পর্যন্ত একজন ভিক্ষুও সাক্ষ্য দিতে চাননি। সাক্ষ্য না দিলে আসামি শনাক্ত হবে কী করে?বাংলাদেশ বুড্ডিস্ট ফেডারেশনের কক্সবাজার জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক বঙ্কিম বড়ুয়া বলেন, ‘হামলার ১১ মাস পর সাত মামলায় অপরিচিত আসামি দেখে আমরা হতাশ হয়েছি। এ অবস্থায় সাক্ষ্য দিলে নিরাপত্তা দেবে কে?’নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশ প্রশাসনের একজন কর্মকর্তা বলেন, রাজনৈতিক নেতাদের নাম নিয়ে সরকারের উচ্চপর্যায়ে আলোচনা হয়েছে। কিন্তু সবুজ সংকেত না পাওয়ায় তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারছে না পুলিশ।একজন ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, কোটি কোটি টাকা খরচ করে ১৯টি বৌদ্ধবিহার পুনর্নির্মাণ করা নিয়েও মানুষের মাঝে সমালোচনা শুরু হয়েছে। সমালোচনার জবাবে প্রধানমন্ত্রীকে ১২টি মাদ্রাসা তৈরির ঘোষণা দিতে হয়েছে।তবে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সালাহ উদ্দিন আহমদ বলেন, বৌদ্ধবিহারের উন্নয়নের সঙ্গে মাদ্রাসা উন্নয়ন প্রকল্পের কোনো সম্পর্ক নেই। এটা অপপ্রচার।কেন্দ্রীয় সীমাবিহারের ভেতরের দেয়ালে দেয়ালে সাঁটানো আছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বড় বড় ছবি। প্রধানমন্ত্রীর সফরের সময় ‘অতি উৎসাহী’ লোকজন মন্দিরের ভেতরে ছবিগুলো সাঁটিয়ে দেন। ধর্মীয় উপাসনালয়ের ভেতরে এভাবে ছবি সাঁটানো দিয়ে বিড়ম্বনায় পড়েছেন বৌদ্ধরা। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর ছবি বলে এগুলো সরানোর সাহস কেউ পাচ্ছেন না।দেশের প্রখ্যাত নির্মাতা তানভীর মোকাম্মেল পরিচালিত ‘জীবনঢুলী’ ছবিটির কাজ শেষে সেন্সর বোর্ডে জমা দেয়া হয়েছে। নভেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে ছবিটির প্রিমিয়ার শো অনুষ্ঠিত হবে। এরপর ছবিটি মুক্তি দেওয়া হবে।১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলার সময় নিম্নবর্ণের এক ঢাকি জীবনকৃষ্ণ দাস ও তাঁর পরিবারের অভিজ্ঞতার গল্প বলা হয়েছে ‘জীবনঢুলী’ ছবিতে। বাংলাদেশ সরকারের অনুদানপ্রাপ্ত মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক ছবিটিতে ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর দ্বারা সংঘটিত চুকনগর গণহত্যাকে তুলে ধরা হয়েছে।‘জীবনঢুলী’ ছবির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন শতাব্দী ওয়াদুদ, রামেন্দু মজুমদার, ওয়াহিদা মল্লিক জলি, চিত্রলেখা গুহ, জ্যোতিকা জ্যোতি, প্রাণ রায়, উত্তম গুহ, সৈয়দ সাবাব আলী আরজু, সগীর মোস্তফা, রানা মাসুদ, ইকবাল আহমেদ, রাজীব সালেহিনসহ গ্রুপ থিয়েটারের একাধিক সদস্য।‘জীবনঢুলী’ ছবির প্রধান সহকারী পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি শিল্প নির্দেশনার কাজটি করেছেন উত্তম গুহ। ছবিটির সংগীত পরিচালক সৈয়দ সাবাব আলী আরজু। পোশাক পরিকল্পনায় ছিলেন চিত্রলেখা গুহ। চিত্রগ্রহণের দায়িত্বে ছিলেন মাহফুজুর রহমান খান। সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন সগীর মোস্তফা, রানা মাসুদ ও সাঈদ সুমন। এ ছাড়া বাংলাদেশ ফিল্ম ইনস্টিটিউটের ২৫ জন শিক্ষার্থী ‘জীবনঢুলী’ ছবিটির নানা বিভাগে কাজ করেছেন।দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে গাজীপুরের টঙ্গীতে সব রকম দলীয় বিলবোর্ড উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু হয়েছে।নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আ ন ম বদরুদ্দোজা জানান, নির্বাচন কমিশন থেকে তফসিল ঘোষণার ৪৮ ঘণ্টা সময়ের মধ্যে সব রকম নির্বাচনী বিলবোর্ড অপসারণের নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু অনেক এলাকায় বিলবোর্ড রয়ে গেছে। গতকাল বিকেল পাঁচটায় টঙ্গীর চেরাগ আলী থেকে বিলবোর্ড অপসারণ শুরু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে নির্বাচন উপলক্ষে টাঙানো সব রকম বিলবোর্ড অপসারণ করা হবে।রেললাইনের ফিশপ্লেট ও ক্লিপ খুলে ফেলায় গাইবান্ধার বুরুঙ্গিতে পদ্মরাগ এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিন ও তিনটি বগি লাইনচ্যুত পয়ে পড়ে যায়। এতে মারা যান চারজন। এ ঘটনার পর থেকে সান্তাহার-লালমনিরহাট রেলপথে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ছবি: সোয়েল রানা, বগুড়াগাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার বোনারপাড়া রেলস্টেশনের অদূরে একটি যাত্রীবাহী ট্রেনের ইঞ্জিন ও তিনটি বগি লাইনচ্যুত হয়ে চারজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৫০ জনের বেশি। নিহত যাত্রীদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে....বিস্তারিত
ফরিদপুর সদরের অম্বিকাপুর ইউনিয়নের মোহামঞ্চদপুর বাজার এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) শহর রক্ষা বাঁধ ধসে ৫৫টি দোকান ও একটি বসতবাড়ি ১৫ থেকে ২০ ফুট দেবে গেছে।গতকাল শনিবার সকালে সরেজমিনে দেখা গেছে, মোহাম্মদপুর বাজার এলাকায় পাউবোর শহর রক্ষা বাঁধের উত্তর পাশের প্রায় ৭০০ ফুট ধসে গেছে। বাজারের ব্যবসায়ী ও আশপাশের বাসিন্দারা জানান, গত তিন দিনে সড়কের উত্তর পাশের ৫৫টি দোকান ও একটি বাড়ি দেবে গেছে। ওই এলাকার ইখতিয়ার উদ্দিন বলেন, বুধবার বিকেল থেকে ধস সৃষ্টি হয়। এর পর থেকে থেমে থেমে ধসে পড়া অব্যাহত রয়েছে। গত শুক্রবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে সর্বশেষ পাঁচটি দোকান ও ট্রাকচালক সাত্তার শেখের বাড়ি ভেঙে পড়ে।বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক মিনহাজ সরদার অভিযোগ করেন, গত শুকনো মৌসুমে এ সড়কটির সংস্কারকাজে নিয়োজিত ঠিকাদারেরা এক্সকাভেটর দিয়ে বেড়িবাঁধের উত্তর পাশের খাল থেকে মাটি কাটায় এ ধসের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য বাদশা মিয়া বলেন, এক্সকাভেটর দিয়ে মাটি কাটার সময় এলাকাবাসী বাধা দিয়েছে। কিন্তু ঠিকাদারেরা পুলিশ দিয়ে হয়রানি করার হুমকি দিয়ে বলেছেন, উন্নয়নকাজে বাধা দেওয়ার পরিণতি ভালো হবে না।ফরিদপুর সওজ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১০ সালের জুলাই মাসে ফরিদপুরের ভাঙ্গার তাড়াইল থেকে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ পর্যন্ত ৬৫ কিলোমিটার সড়ক উন্নয়নকাজ শুরু হয়। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ওয়াহিদ মিয়া জেভি ৭৬ কোটি টাকার এ কাজ পায়। ২০১২ সালের জুনের মধ্যে এ কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সময়মতো কাজ শেষ না হওয়ায় ২০১৩ জুন পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়। এর পরও কাজ শেষ না হওয়ায় ২০১৪ সালের জুন পর্যন্ত সময় বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।সওজ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সন্তোষ কুমার রায় জানান, বরাদ্দের টাকা ঠিকমতো না পাওয়ায় সড়কের উন্নয়নকাজ বিলম্বিত হচ্ছে। ইতিমধ্যে মাত্র ১২ কোটি টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। তবে হাইওয়ে আইন অনুযায়ী সড়ক-মহাসড়কের উভয় পাশে ৩০ ফুটের মধ্যে গভীর গর্ত করে মাটি কাটা নিষিদ্ধ। তা ছাড়া সংস্কারকাজ শেষ না হওয়ায় সড়কের প্রতিরক্ষামূলক কাজ শুরু করা যায়নি।ফরিদপুর পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল মতিন সরকার বলেন, খাল থেকে নিয়মবহির্ভূতভাবে বেশি গর্ত করে মাটি কাটায় এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। এ ব্যাপারে সওজ বিভাগের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।সাত বছর আগে খুন হয়েছিলেন পুলিশ টেলিকমের সহকারী হিসাবরক্ষক গোলাম শামসুল হায়দার। তাঁকে হত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত প্রধান আসামি ছিলেন একই সংস্থার হিসাবরক্ষক আবদুল লতিফ। ওই হত্যা মামলাটি তৃতীয়বারের মতো রাজনৈতিক বিবেচনায় আবদুল লতিফকে অব্যাহতি দেওয়ার সুপারিশ করেছে সরকার।রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার-সংক্রান্ত কমিটির প্রধান আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলামের সভাপতিত্বে সর্বশেষ সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।এর আগে ২০১০ সালের জানুয়ারি মাসে রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার-সংক্রান্ত কমিটির ১১তম সভায় প্রথমবার এবং ২০১০ সালের ১৮ অক্টোবর ২১তম সভায় শামসুল হায়দার হত্যা মামলায় ১ নম্বর আসামি আবদুল লতিফকে বিচারকার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। প্রতিবারই প্রতিবাদের মুখে অব্যাহতির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা হয়। আর সিদ্ধান্ত আইন প্রতিমন্ত্রী আগের দুইবারই বলেছিলেন, ভুল করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।এবারও যোগাযোগ করা হলে আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম একই কথা বলেন। তিনি প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, ‘ভুল করে আবদুল লতিফকে অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়েছে। এ সিদ্ধান্ত বাতিল করা হবে।’ তবে কবে বাতিল করা হবে, এ ব্যাপারে আইন প্রতিমন্ত্রী কিছু জানাননি।রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার-সংক্রান্ত কমিটি শামসুল আলম হত্যা মামলা থেকে এমন সময় বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল, যখন এ মামলায় আদালতে ৪৬ জনের মধ্যে ৪৩ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে। আর শামসুল আলমের পরিবার এখন আর তিনজনের সাক্ষ্য শেষে রায়ের জন্য অপেক্ষা করছেন।শামসুল হায়দারের স্ত্রী লায়লা নূর আরজুমান বানু প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, ‘মামলার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আইন প্রতিমন্ত্রীর কাছে জমা দিয়েছিলাম। এর পর আবদুল লতিফকে অব্যাহতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত বাতিল করা হয়। এবার লতিফ অব্যাহতি পেলে হয়তো রাস্তায় আমার লাশ পড়ে থাকবে।’নাম প্রকাশ না করার শর্তে এ মামলার এক তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, ‘আবদুল লতিফ একবার নয়, বেশ কয়েকবার ভুয়া বিল তৈরি করে কোটি কোটি টাকা আত্মসাত্ করেছেন। দুদকেও লতিফের দুর্নীতির জন্য মামলা হয়েছিল। শত ভাগ প্রমাণ করার পরও এভাবে তাঁকে অব্যাহতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত দুঃখজনক।’ওই তদন্ত কর্মকর্তা আরও বলেন, তদন্ত করতে গিয়ে তিনি জানতে পারেন, আবদুল লতিফের ঢাকায় বেশ কয়েকটি বাড়ি ও ফ্ল্যাট আছে। তাঁর গাড়িও আছে।লায়লা নূর আরজুমান বানু জানান, লতিফের বেতন সে সময় সর্বসাকল্যে আট থেকে ১০ হাজার টাকার বেশি ছিল না। কিন্তু তিনি নিজের দামি গাড়িতে চড়ে বেড়াতেন। এখনো আদালতের শুনানির সময় দামি গাড়িতে করেই আসেন।তবে আবদুল লতিফকে নির্দোষ দাবি করেছেন তাঁর আইনজীবী বোরহান উদ্দিন।  প্রথম আলো ডটকমকে তিনি বলেন, ‘সরকারি প্রতিষ্ঠানে এত আর্থিক দুর্নীতি করা একজনের পক্ষে সম্ভব নয়। তা ছাড়া লতিফের বিরুদ্ধে তাঁর কর্মস্থলের কেউ সাক্ষ্য দেননি।’বোরহান উদ্দিন আরও জানান, শামসুল হায়দার হত্যার সঙ্গেও জড়িত নন লতিফ। দীর্ঘ এক মাসেরও বেশি সময় লতিফকে রিমান্ডে নিয়ে জোর করে স্বীকারোক্তি আদায় করা হয়েছে।উল্লেখ্য, ২০০৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর মতিঝিল এলাকায় এজিবি কলোনির সামনে সকাল সাড়ে আটটার দিকে নৃশংসভাবে খুন হন শামসুল হায়দার। এ ঘটনায় তাঁর বড় ভাই আবুল কালাম আজাদ মতিঝিল থানায় আবদুল লতিফসহ সাতজনকে আসামি করে একটি মামলা করেন।এ ঘটনার এক বছর পর ২০০৭ সালের ২০ মে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন আবদুল লতিফ। জবাববন্দিতে তিনি স্বীকার করেন, হাফিজুল হোসেনের জায়গায় স্টেশন শাখা থেকে বদলি হয়ে ২০০৫ সালের শেষের দিকে বিল শাখায় যোগ দেন গোলাম শামসুল হায়দার। এতে ক্ষিপ্ত ছিলেন হাফিজুল হোসেন। পরে হাফিজুলকে দিয়ে মেসার্স হারুন এন্টারপ্রাইজ নামের একটি প্রতিষ্ঠানের নামে এক কোটি ৪৫ হাজার টাকার ভুয়া বিল তৈরি করেন তিনি। বিলটি পাস করানোর জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার কার্যালয়ের এসএএস সুপারেনটেনডেন্ট আনোয়ার হোসেনকে ৩০ লাখ টাকার বিনিময়ে রাজি করান তিনি। আনোয়ার হোসেন ৪ শতাংশ হারে আয়কর বাদ দিয়ে লতিফকে ৯৬ লাখ ৪৩ হাজার ২০০ টাকার চেক দেন। হারুন এন্টারপ্রাইজের মাধ্যমে উত্তরা ব্যাংকের রাজমণি শাখা থেকে এই টাকা তোলা হয়। এর মধ্যে ৩৯ লাখ টাকা লতিফ নিজের কাছে রাখেন। বাকি ২০ লাখ হাফিজুল হোসেনকে এবং প্রায় আট লাখ টাকা হারুন এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী হারুন-অর-রশিদকে দেন তিনি।এসব তথ্য জানতে পারায় লতিফের সঙ্গে শামসুল হায়দারের বাগবিতণ্ডা হয়। শামসুল হায়দারকে হত্যার জন্য হাফিজুল হোসেন ও আবদুল লতিফ পরামর্শ করে বাবুল ওরফে তপন চক্রবর্তী নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে দুই লাখ টাকার চুক্তি করেন। বাবুল পেশাদার চার খুনি ওয়াসিম, রানা মিয়া, সামছুল আলম ও রাজনকে দিয়ে শামসুল হায়দারকে হত্যা করান। শামসুলের জানাজায় অংশ নেওয়ার পর চুক্তি অনুয়ায়ী দুই লাখ টাকা বাবুলকে দেন আবদুল লতিফ। এই একমাত্র ওয়াসিম ছাড়া বাকি সব আসামি জামিনে রয়েছেন। তবে এখনো বাবুল ও রাজনকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।এ ছাড়া ভুয়া বিল করে পুলিশ টেলিকমের আট কোটি  ৩০ লাখ ৫০ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে লতিফসহ নয়জনকে আসামি করে পল্টন থানায় ২০০৭ সালের ২৩ মার্চ তারিখে একটি (মামলা নম্বর ৪৮) এবং ২০১০ সালের ১২ ডিসেম্বর সাতটি (মামলা নম্বর ৩২, ৩৩, ৩৪, ৩৫, ৩৬, ৩৭ ও ৩৮) মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।১৮-দলীয় জোটের ডাকা অবরোধের তৃতীয় দিন গতকাল বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের কাঁচপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ইসলামী ছাত্রশিবিরের কর্মীরা একটি ট্রাকে অগ্নিসংযোগ ও চার-পাঁচটি যানবাহন ভাঙচুর করেন। এ সময় বালুঘাটের শ্রমিকদের সঙ্গে শিবিরের কর্মীদের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়।আড়াইহাজার উপজেলায় বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়। রূপগঞ্জে বিএনপির কর্মীরা সাত-আটটি যানবাহন ভাঙচুর করেন। সাভারে একটি বাসে অগ্নিসংযোগ করা হয়।অবরোধে গতকাল ঢাকা-চট্টগ্রাম, সিলেট ও আরিচা মহাসড়কে দূরপাল্লার কোনো যানবাহন চলেনি। তবে স্থানীয় গণপরিবহন চলাচল করেছে। ট্রেন ও লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক ছিল।প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশের বরাত দিয়ে খবর জানাচ্ছেন আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিরা:নারায়ণগঞ্জ: সকাল সাতটার দিকে সিদ্ধিরগঞ্জের কাঁচপুর সেতুর ওপর ছাত্রশিবিরের কর্মীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে চার-পাঁচটি যানবাহন ভাঙচুর করেন এবং একটি ট্রাকে আগুন ধরিয়ে দেন। এ সময় সেতুর পাশে কাজ করা বালুঘাটের শ্রমিকেরা শিবিরের কর্মীদের ধাওয়া দিলে দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে পুলিশ এসে শটগানের ফাঁকা গুলি ছুড়লে শিবিরের কর্মীরা পালিয়ে যান।সকাল পৌনে আটটার দিকে বিএনপির নেতা-কর্মীরা আড়াইহাজার উপজেলার পাঁচরুখী এলাকায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে টায়ার জ্বালান এবং ১০-১২টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটান। বাধা দিলে তাঁরা পুলিশের একটি গাড়িতে ককটেল নিক্ষেপ করেন। এ সময় পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পুলিশ শটগানের কয়েকটি গুলি ছুড়ে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এতে তিন কর্মী রাবার বুলেটবিদ্ধ হয়েছেন বলে দাবি করেছে বিএনপি। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে চারজনকে আটক করেছে।অন্যদিকে রূপগঞ্জ উপজেলার দাউদপুর কালনী এলাকায় বিএনপির সমর্থকেরা সাত-আটটি যানবাহন ভাঙচুর করেন। বুধবার রূপগঞ্জে নাশকতা ও ভাঙচুরের অভিযোগে ৪২১ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে গতকাল মামলা করেছে পুলিশ।সাভার: ঢাকার সাভারের হেমায়েতপুরের একটি পোশাক কারখানায় কাজ শেষে সন্ধ্যায় শ্রমিকদের নিয়ে একটি বাস সাভার বাসস্ট্যান্ডে নামায়। সন্ধ্যা সাতটার দিকে বাসটি শিমুলতলা এলাকা দিয়ে ঘুরিয়ে হেমায়েতপুরের দিকে যাওয়ার মুহূর্তে ১০-১২ জন অবরোধকারী এসে বাসটি ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে পুলিশের জলকামান দিয়ে আগুন নেভানো হয়। এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।গাজীপুর: বুধবার দুপুরে কালীগঞ্জ উপজেলার চুপাইর বাজারে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষে জামালপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য কামাল হোসেন (৩০) নিহত হওয়ার ঘটনায় সাতজনকে আটক করেছে পুলিশ।অবরোধে ক্ষতিগ্রস্ত ট্রাকচালকেরা খালেদা জিয়ার বাসভবন ঘেরার করার উদ্দেশ্যে মহাখালী থেকে মিছিল বের করে। ছবি: মনিরুল আলমঅবরোধে ক্ষতিগ্রস্ত ট্রাকচালকদের বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বাসভবন ঘেরাও করতে দেয়নি পুলিশ। ট্রাকচালকদের এ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে ও বিরোধীদলীয় নেতার বাসভবনের আশপাশে ব্যাপক নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। তবে বেলা একটার দিকে সেখান থেকে অতিরিক্ত পুলিশ প্রত্যাহার করা হয়...বিস্তারিত
সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা দাবি আদায়ে গতকাল শনিবার বিক্ষোভ করেছেন। এ সময় কয়েকটি স্থানে পুলিশের সঙ্গে তাঁদের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন। পুলিশ ৪০ জনকে আটক করেছে।প্রকৌশলীর সংজ্ঞায় ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের অন্তর্ভুক্ত করে ২০০৮ সালের বিতর্কিত গেজেট সংশোধন এবং ছাত্রছাত্রীদের বৃত্তি ও প্রশিক্ষণ ভাতা বাড়ানোর দাবিতে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা বেশ কিছুদিন ধরে আন্দোলন করছেন।ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা গতকাল সকাল নয়টা থেকে ১১টা পর্যন্ত তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকার সাতরাস্তার মোড়ে সড়ক অবরোধ করেন। পুলিশের হস্তক্ষেপে তাঁরা অবরোধ তুলে নিয়ে পরে মানববন্ধন করেন। পরে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আবার তাঁরা সড়ক অবরোধ করলে পুলিশ জলকামান ব্যবহার করে তাঁদের সরিয়ে দেয়। এ সময় ওই এলাকায় দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।এদিকে বাংলাদেশ কারিগরি ছাত্র পরিষদের (বাকাছাপ) এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দাবি আদায়ে আজ রোববার অনুষ্ঠেয় ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের সব পরীক্ষা বর্জন করা হয়েছে।আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জানান, ২০০৮ সালে অধ্যাদেশ জারি করে প্রকৌশলীর সংজ্ঞায় পরিবর্তন এনে শুধু বিএসসি ডিগ্রিধারীদের প্রকৌশলী বলা হয়েছে। পরিবর্তিত সংজ্ঞায় চার বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রিধারীদের প্রকৌশলীর বদলে ডিপ্লোমা ইন সুপারভাইজার বলা হয়। এর মাধ্যমে কর্মক্ষেত্রে তাঁদের পদমর্যাদা দ্বিতীয় শ্রেণী থেকে নামিয়ে তৃতীয় শ্রেণী করার পাঁয়তারা চলছে। শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, পেশায় আধিপত্য বিস্তারের হীন উদ্দেশ্যে একশ্রেণীর আমলার প্রভাবে এই বৈষম্য সৃষ্টি করা হয়েছে। তাঁরা অবিলম্বে এই অধ্যাদেশ সংশোধনের দাবি জানান।শেরপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শেরপুর-ঢাকা মহাসড়কের ভাতশালা এলাকায় অবরোধ করেন। খবর পেয়ে শেরপুরের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার সালাহউদ্দিন সিকদারের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে অবরোধ তুলে দেয়। শিক্ষার্থীরা ইনস্টিটিউটে ঢুকে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। একপর্যায়ে তাঁরা ইনস্টিটিউটের প্রধান ফটক বন্ধ করে অধ্যক্ষের কার্যালয়সহ শ্রেণীকক্ষ, গবেষণাগার, গাড়ি ও আসবাব ভাঙচুর শুরু করেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ইনস্টিটিউটের প্রধান ফটক ভেঙে ভেতরে ঢুকে লাঠিপেটা শুরু করে। এরপর দুই পক্ষে সংঘর্ষ শুরু হয়। একপর্যায়ে পুলিশ শতাধিক কাঁদানে গ্যাসের শেল ও গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। প্রায় পাঁচ ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে ১০ পুলিশ সদস্য ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীসহ অর্ধশত শিক্ষার্থী আহত হন। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার সালাহউদ্দিন সিকদার, সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজুর রহমান ও ছাত্রলীগের সদর উপজেলা শাখার সভাপতি সাইদুল ইসলাম রয়েছেন।খবর পেয়ে র‌্যাব-১২-এর একটি দল ও ক্ষমতাসীন দলের নেতারা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। পুলিশ ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে আলোচনার পর বিকেল সাড়ে চারটার দিকে পরিস্থিতি শান্ত হয়ে আসে এবং মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাজহারুল করিম জানান, সংঘর্ষে জড়িত সন্দেহে পুলিশ ৪০ জনকে আটক করেছে। মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।শেরপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অনিমেষ চন্দ্র সূত্রধর বলেন, শিক্ষার্থীদের তাণ্ডবে ইনস্টিটিউটের কোটি টাকার সম্পদের ক্ষতি হয়েছে।বগুড়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা সকাল ১০টার দিকে ক্যাম্পাসে মানববন্ধন করেন। পরে তাঁরা অধ্যক্ষকে তাঁর কার্যালয়ে অবরুদ্ধ করেন। প্রায় এক ঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকার পর অধ্যক্ষ মোয়াজ্জেম হোসেন শিক্ষার্থীদের দাবি পূরণে সহায়তার আশ্বাস দেন। পরে কিছু উচ্ছৃঙ্খল শিক্ষার্থী ইনস্টিটিউটের সামনে সড়ক অবরোধ করে টিআর ট্রাভেলসের একটি গাড়ি ভাঙচুর করলে পুলিশ রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় তিন শিক্ষার্থী আহত হন।মাগুরা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা সকাল নয়টার দিকে মাগুরা-ঝিনাইদহ সড়ক অবরোধ করতে গেলে পুলিশ বাধা দেয়। এ সময় দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে চলে সংঘর্ষ। এতে মাগুরা-ঝিনাইদহ সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।সংঘর্ষ চলাকালে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ইটপাটকেল ও কয়েকটি হাতবোমাও নিক্ষেপ করেন। ইনস্টিটিউটের একাডেমিক ভবনে ভাঙচুর করেন তাঁরা। পরে পুলিশ লাঠিপেটা করে, ফাঁকা গুলি ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষে চারজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।কুমিল্লা নগরের চাঙ্গিনী এলাকায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সান্ধ্যকালীন এমবিএ শিক্ষার্থীদের বাসে ভাঙচুর করেন কুমিল্লা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনায় কমপক্ষে আটজন শিক্ষার্থী আহত হন।বেলা ১১টা থেকে একটা পর্যন্ত ময়মনসিংহ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করেন। এ সময় ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়কে শতাধিক যান আটকা পড়ে। পরে পুলিশ ঘণ্টাব্যাপী চেষ্টা করে সড়ক অবরোধ তুলে দেয়। এ সময় শিক্ষার্থীরা ইনস্টিটিউটের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ কক্ষ ও অধ্যক্ষের কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেন।নরসিংদী শহরের দগরিয়া এলাকার ক্যাম্পাসে দুপুরে বিক্ষোভ মিছিল করেন নরসিংদী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। তাঁরা ক্যাম্পাসে আগুন ধরিয়ে দিয়ে ইনস্টিটিউটের বিভিন্ন ভবনে ভাঙচুর চালান।পটুয়াখালীতে সকাল ১০টার দিকে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। এ সময় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবনের কয়েকটি জানালার কাচ ভাঙচুর করেন। তাঁরা ইনস্টিটিউটের মূল ভবনে তালা ঝুলিয়ে প্রশাসনিক ভবনের সামনে সমাবেশ করেন।এ ছাড়া সিরাজগঞ্জ, সিলেট, কুমিল্লা, ফেনী, ময়মনসিংহ, পটুয়াখালী, শেরপুর, নরসিংদী, মাগুরা, চাঁদপুর, মুন্সিগঞ্জ ও গোপালগঞ্জেও বিক্ষোভ হয়েছে।প্রতিবেদন তৈরিতে সহায়তা করেছেন প্রথম আলোর সিরাজগঞ্জ, ফেনী, কুমিল্লা ও সিলেটের নিজস্ব প্রতিবেদক, ময়মনসিংহ ও পটুয়াখালী অফিস এবং বগুড়া, শেরপুর, নরসিংদী, মাগুরা, মুন্সিগঞ্জ, চাঁদপুর ও গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি বিরোধীদলীয় নেতাকে শর্তহীন সংলাপে আসার আহ্বান জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, ‘সংলাপে না এলে আপনি হিংসার রানি, প্রতিহিংসার রানি, সন্ত্রাসের রানি হিসেবে চিহ্নিত হবেন। সংলাপ ও আন্দোলন একসঙ্গে চলতে পারে না। যুদ্ধের সময়ও বিরতি দিয়ে সংলাপ হয়। আমরা বাংলাদেশের ইজারা তেঁতুল হুজুরের কাছে দিতে পারি না।’আজ বুধবার দুপুরে চট্টগ্রাম নগরের থিয়েটার ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ‘শান্তি, উন্নয়ন ও গণতন্ত্রের অভিযাত্রা’ শীর্ষক গণসংলাপ অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। গণযোগাযোগ অধিদপ্তর ওই সংলাপের আয়োজন করে।দুই নেত্রীর ফোনালাপ সরকার প্রকাশ করেনি উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তথ্যপ্রযুক্তি আইন অনুযায়ী জনসমক্ষে ফোনালাপ প্রকাশ করা যদি বেআইনি হয়ে থাকে তাহলে বিচার হওয়া উচিত। এখানে যদি আমিও দোষী হই তাহলে আমারও বিচার হোক।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলাম যদি ফোনালাপ আংশিক প্রকাশ করা হয় তাহলে জাতি বিভ্রান্ত হবে। দুই নেত্রীর সম্মতি নিয়ে তা প্রকাশ করা যায়। এখন ৩৭ মিনিটের ফোনালাপ দেখার পর মনে হয়েছে এটা জনগণের জানার অধিকার রয়েছে।’আবৃত্তিশিল্পী মিলি চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে মন্ত্রী ছাড়াও প্যানেল আলোচক ছিলেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক শামীম মোহাম্মদ আফজাল ও গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক তফসির আহমদ। অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী দর্শকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন তথ্যমন্ত্রী।হেফাজতে ইসলাম-সম্পর্কিত এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ‘হেফাজতে ইসলাম বিএনপি ও জামায়াতের অঙ্গসংগঠন। ইসলাম রক্ষার নামে শফী হুজুর মূলত বিএনপি ও জামায়াতকে ক্ষমতায় আনার কাজ করছেন। তিনি রাজনৈতিক হুজুর।’হেফাজতে ইসলামের সমালোচনা করে এক প্রশ্নের জবাবে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক বলেন, ‘নারীদের চতুর্থ শ্রেণী পর্যন্ত যদি পড়ানো হয় তাহলে তাঁরা ডাক্তার কীভাবে হবে? আর ডাক্তার না হলে আমাদের মা-বোনেরা কার কাছে গিয়ে চিকিত্সা করবেন? হেফাজতের ষড়যন্ত্র সম্পর্কে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।’সরকারের ব্যর্থতা কি এমন প্রশ্নের জবাবে হাসানুল হক বলেন, ‘আমরা রাজনৈতিক শান্তি দিতে পারিনি, তেঁতুল হুজুরকে শাস্তি দিতে পারিনি, জামায়াতকে নিষিদ্ধ করতে পারিনি—এগুলোই আমাদের ব্যর্থতা।’যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে শঙ্কা প্রকাশ করে মন্ত্রী বলেন, ‘সরকার বদলের সঙ্গে সঙ্গে আইন বদল হওয়া উচিত নয়। কিন্তু অতীতে সামরিক সরকার ও তাদের দোসরেরা আইন বদল করেছে। বিএনপি জামায়াত ক্ষমতায় এলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধ করে দেবে বলে আমার শঙ্কা।’ তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে গণতন্ত্রের বদলে গোঁজামিলতন্ত্র ছিল। একটু গণতন্ত্র, একটু ধর্মতন্ত্র, একটু সামরিকতন্ত্র মিলে গোঁজামিলতন্ত্র চলছে। এ থেকে মুক্ত হতে হবে।’কবি অরুণ দাশগুপ্ত ও অধ্যক্ষ ফজলুল হকও প্যানেলে উপস্থিত ছিলেন।ডন ব্র্যাডম্যানের সই করা ব্যাট। মার্ক নফলার আর এ আর রহমানের উপহার দেওয়া গিটার। সত্তরের দশকে বের হওয়া নিজের একটা অ্যালবাম ভালোবেসে দিয়েছিলেন আশা ভোঁসলে। আছে মোহাম্মদ আলীর সই করা বক্সিং গ্লাভসও। অ্যান্টিক হিসেবে একটার চেয়ে অন্যটার মূল্য কম নয় কোনো অংশে। আর সঙ্গে জড়িয়ে থাকা অমূল্য সব স্মৃতি তো আছেই। শুনেই বুঝতে পারছেন কতটা সমৃদ্ধ শচীন টেন্ডুলকারের সংগ্রহশালা। অনেক প্রিয় তো বটেই। তবে এসবের মধ্যে সবচেয়ে প্রিয় মাত্র ১৩টি কয়েন! কৈশোরে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অনুশীলন শেষে যে কয়েনগুলো পুরস্কার হিসেবে পেয়েছিলেন গুরু রমাকান্ত আচরেকারের কাছ থেকে।কিশোর টেন্ডুলকার অনুশীলনের সময় স্টাম্পের ওপর একটা করে কয়েন রেখে দিতেন আচরেকার। সারা দিনে একবারও কোনো বোলার তাঁকে আউট করতে না পারলে সে কয়েনের মালিক হয়ে যেতেন টেন্ডুলকার। এভাবেই লিটল মাস্টারের সংগ্রহে জমেছিল ১৩টি কয়েন। পরশু মুম্বাইয়ে এক অনুষ্ঠানে যেন ছোটবেলায় পাওয়া সেই পুরস্কারের অনুভূতি জানালেন টেন্ডুলকার, ‘আমার কাছে সবচেয়ে মূল্যবান, সবচেয়ে প্রিয় আচরেকার স্যারের কাছ থেকে পাওয়া এই কয়েনগুলো। এগুলো অমূল্য।’ ওয়েবসাইটবিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দলের অবরোধ ৫৯ ঘণ্টা বাড়িয়ে বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত করা হয়েছে। আজ সোমবার সকালে অজ্ঞাত স্থান থেকে পাঠানো ভিডিওবার্তায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহউদ্দিন আহমদ এ কথা জানান...বিস্তারিত
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেটে ২৫ জন রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট প্রতিনিধি নির্বাচনের শেষ দিনে গতকাল শনিবার বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা ছাত্রদলের কর্মীদের মারধর করেছেন। এতে পাঁচজন আহত হয়েছেন, লাঞ্ছিত হয়েছেন একজন নারী রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট এবং একজন শিক্ষক। আজ রোববার ভোট গণনা শেষে ফল ঘোষণা করা হবে। গতকাল সকাল নয়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনটি কেন্দ্রে (নবাব নওয়াব আলী সিনেট ভবন, শারীরিক শিক্ষাকেন্দ্র ও টিএসসি) ভোট গ্রহণ শুরু হয়। ভোট গ্রহণ উপলক্ষে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি সংগঠন দুটির সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতা-কর্মীরাও ক্যাম্পাসে আসেন। এতে ক্যাম্পাসে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শারীরিক শিক্ষাকেন্দ্রে ভোট দিতে আসেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ সময় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমর্থকেরা নিজ নিজ দলীয় স্লোগান দিতে থাকেন। একপর্যায়ে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের হামলায় ছাত্রদলের কয়েকজন কর্মী আহত হন। এ সময় স্বেচ্ছাসেবক দলের কয়েকজন নারী কর্মীও লাঞ্ছিত হন বলে অভিযোগ উঠেছে।দুপুর ১২টার দিকে সিনেট ভবন কেন্দ্রে ভোট দিতে গিয়ে কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে মহড়া দেওয়ার চেষ্টা করেন ছাত্রদল কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক আকরামুল হক। এ সময় ছাত্রলীগের কর্মীরা আকরামকে মারতে উদ্যত হলে ছাত্রদলের কয়েকজন নেতা-কর্মী তাতে বাধা দেন। এ সময় ছাত্রলীগের কর্মীদের মারধরে ছাত্রদলের ধানমন্ডি থানা শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আজিদুল হক জিয়নসহ অন্তত তিনজন আহত হন। আর ছাত্রলীগের কর্মীদের নিবৃত করতে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পি জে হাটর্গ ইন্টারন্যাশনাল হলের প্রাধ্যক্ষ ও বিএনপিপন্থী শিক্ষক হিসেবে পরিচিত লুৎফর রহমান ছাত্রলীগের কর্মীদের হাতে লাঞ্ছিত হন।বেলা সাড়ে তিনটার দিকে টিএসসির মূল ফটকে অবস্থান নেওয়াকে কেন্দ্র করে বিএনপির কর্মী-সমর্থক ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। এ সময় জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের জেবা শারমিন আহত হন।বিকেল সাড়ে চারটায় ছাত্রলীগের সূর্য সেন হল শাখার নেতা-কর্মীরা সিনেট ভবনের সামনে জাতীয়তাবাদী প্যানেলের তাঁবুতে ঢুকে লাঠিসোঁটা দিয়ে মুহসীন হল ছাত্রদলের কর্মী মহিবুল্লাকে মারধর করেন।বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) আমজাদ আলী বলেন, কয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনায় কয়েকজন আহত হয়েছেন। তবে সার্বিকভাবে নির্বাচনের পরিবেশ স্বাভাবিক ছিল।ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক ওমর শরীফ প্রথম আলোকে বলেন, ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা কারও ওপর হামলা করেননি। তবে নিজেদের মধ্যে কোন্দলের জের ধরে ছাত্রদলের কয়েকজন আহত হওয়ার কথা তিনি শুনেছেন।এক বিবৃতিতে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি আবদুল কাদের ভূঁইয়া ও সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রশিদ বলেন, গণতন্ত্রের সূতিকাগার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দলমত-নির্বিশেষে সবাই তার মতামত প্রকাশ করবে। কিন্তু ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা কোনো কিছুর তোয়াক্কা না করে শিক্ষকদের সামনে ছাত্রদল নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা করেছেন।বিকেল পাঁচটায় কেন্দ্র তিনটিতে ভোট গ্রহণ শেষ হয়। এরপর রাত আটটার দিকে জাতীয়তাবাদী পরিষদের পক্ষ থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পরিষদের প্রার্থী অধ্যাপক আ ফ ম ইউসুফ হায়দার অভিযোগ করেন, ছাত্রলীগের হামলায় জেবা শারমিনসহ আরও তিনজন আহত হয়েছেন এবং কয়েকজন নারী কর্মী লাঞ্ছিত হয়েছেন; যা ন্যক্কারজনক। তিনি এসব ঘটনার তদন্ত ও বিচার দাবি করেন। একই সঙ্গে নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়নি বলেও অভিযোগ করেন তিনি।তবে চীফ প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ও কোষাধ্যক্ষ মো. কামাল উদ্দীন প্রথম আলোকে বলেন, গত কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে।বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গতকাল এক বিবৃতিতে বলেন, ছাত্রলীগের সশস্ত্র ক্যাডারদের হামলায় নারী কর্মীসহ সাতজন আহত হয়েছেন। তিনি বলেন, ছাত্রলীগের হামলার মাধ্যমে আবারও প্রমাণিত হলো, এ সরকারের অধীনে যেকোনো নির্বাচনের পরিণতি কী হতে পারে।এর আগে ঢাকার বাইরের বিভিন্ন কেন্দ্রে ১৪ ও ২১ সেপ্টেম্বর দুই দফায় ভোট গ্রহণ করা হয়।ফেসবুকে সম্প্রতি স্ক্যাম আকারে একটি ধাঁধা ছড়িয়ে পড়েছে। এ ধাঁধার উত্তর দিতে যাঁরা ব্যর্থ হচ্ছেন, তাঁদের প্রোফাইলের ছবি পরিবর্তন হয়ে জিরাফের ছবি হয়ে যাচ্ছে। ফেসবুকে সম্প্রতি এই বিষয়টি মারাত্মক আকার নিয়েছে বলে ‘হাফিংটন পোস্ট’-এর এক খবরে জানানো হয়েছে।অনলাইন নিরাপত্তা বিশ্লেষকেরা জানিয়েছেন, গত সপ্তাহ থেকে সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট ফেসবুকে একটি ধাঁধা গেম ছড়িয়েছে। এ ধাঁধা গেমটি যাঁরা খেলেছেন তাঁদের কাছে শর্ত দেওয়া হয়, ধাঁধার সঠিক উত্তর দিতে না পারলে তাঁদের প্রোফাইলের ছবিটি জিরাফের ছবিতে পরিণত হবে এবং এ ধাঁধাটি অন্য বন্ধুদের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে হবে। আর যাঁরা ধাঁধার সঠিক উত্তর দিতে পারবেন তাঁদের কোনো ক্ষতি হবে না।এ গেমটিতে যে ধাঁধাটি দেওয়া হয় সেটি এ রকম, ‘ভোর তিনটা। এখন বাড়ির ডোরবেল বাজছে এবং আপনি জেগে উঠেছেন। অনাকাঙ্ক্ষিত মেহমান! আপনার মা-বাবা এসেছেন এবং তাঁরা সকালের নাশতা করতে চান। আপনার বাড়িতে জ্যাম, মধু, মদ, রুটি ও ঘি রয়েছে। আপনি প্রথমে কোনটি খুলবেন?’এ ধাঁধাটির উত্তর মন্তব্যের পরিবর্তে ফেসবুকে বার্তা পাঠানোর মাধ্যমে দিতে হয় ব্যবহারকারীকে। যদি উত্তর ভুল হয় তবে প্রোফাইলের ছবিটি জিরাফে পরিণত হয়ে যাবে।এ ধাঁধাটির জন্য উত্তর হিসেবে ‘দরজা খোলা’ বা ‘চোখ খোলা’র বিষয়টিকে সঠিক হিসেবে গৃহীত হচ্ছে।এ ধাঁধাটি কে বা কারা ফেসবুকে ছেড়েছে, সে উত্স এখনো চিহ্নিত হয়নি। এ ধরনের ধাঁধা গেম খেলা থেকে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন নিরাপত্তা বিশ্লেষকেরা।কম সময়ে সত্যিকারের আবেগ আর গল্প তুলে ধরতে প্রয়োজন অ্যানিমেশনের। এ ক্ষেত্রটি অনেক বড়। বাংলাদেশের ভেতরে অ্যানিমেশনের বড় বাজার তৈরি হলে এখানেও কাজের সুযোগ বাড়বে। আর তখনই দেশের বাইরেও নিজেদের কাজের চাহিদা তৈরি করতে পারবেন অ্যানিমেটররা। গতকাল বৃহস্পতিবার প্রথম আলো কার্যালয়ে তরুণ প্রজন্মের কার্টুনিস্ট, অ্যানিমেটরদের সঙ্গে ‘মুখোমুখি’ শীর্ষক আড্ডায় ২০০৭ সালের বৈজ্ঞানিক ও কারিগরি অস্কার বিজয়ী নাফিস বিন যাফর এসব কথা বলেন।আড্ডায় নাফিস জানান, কম্পিউটার ও চিকিৎসাবিজ্ঞান দুই বিষয়েই পেশা গড়ার সুযোগ ছিল। কিন্তু কম্পিউটার প্রোগ্রাম লিখে সৃজনশীল কাজ করা যায়, তাই প্রোগ্রামার হয়ে গেলাম। অ্যানিমেশনে সফল হতে তিনি অ্যানিমেটরদের শুরু থেকেই নানা ধরনের কাজ করার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, নিজের কাজটাকে ভালোবাসতে হবে, তবেই সফল হওয়া যাবে।এখন দুটি অ্যানিমেশন চলচ্চিত্রের কাজ করছেন নাফিস। জানালেন আগামী বছর এই দুটি ছবি মুক্তি পাবে।এ আয়োজনে কার্টুনিস্টদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন, তিনি নিজেও তাঁদের কাজের ব্যাপারে জানতে চান। এতে উপস্থিত ছিলেন সাদাত, জুনায়েদ আজীম চৌধুরী, মো. মোরসালিন, তামিম, শিখা, আরাফাত করিম, এস এম রাকিব, আসিফুর রহমান, ষুভ, পাভেল মহিতুল আলম, আদনান মুকিত, মো. সাইফুল্লাহ প্রমুখ।পেশায় সফটওয়্যার প্রকৌশলী নাফিস বিন যাফর বিশ্বখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতাপ্রতিষ্ঠান ড্রিমওয়ার্কস অ্যানিমেশনের মুখ্য প্রকৌশলী হিসেবে কাজ করছেন। এর আগে তিনি ডিজিটাল ডোমেইনে কাজ করেছেন। সে সময় পাইরেটস অব দ্য ক্যারিবিয়ান: অ্যাট ওয়ার্ল্ডস অ্যান্ড ছবিতে বিশেষ আবহ তৈরির জন্য ফ্লুয়িড অ্যানিমেশন কৌশল তৈরি করে ২০০৭-এর কারিগরি অস্কার জেতেন। ট্রান্সফরমার-২, কুং ফু পান্ডা-২, শ্রেক: ফরএভার আফটার, মাদাগাস্কার-৩, ২০১২ ইত্যাদি ছবির অ্যানিমেশন ও বিশেষ আবহ সৃষ্টির জন্য কাজ করেছেন। লস অ্যাঞ্জেলেসে বসবাসরত নাফিসের জন্ম ঢাকায়।অনুষ্ঠানে নাফিসের হাতে প্রথম আলোর পক্ষ থেকে বই তুলে দেন ফিচার সম্পাদক সুমনা শারমীন। নিজের আঁকা নাফিসের ক্যারিকেচার উপহার দেন কার্টুনিস্ট সাদাত। তাৎক্ষণিকভাবে কার্টুনিস্টদের আঁকা একটি টি-শার্টও দেওয়া হয় তাঁকে।এ আয়োজনে বাংলাদেশি কার্টুনিস্ট মানিক-রতনের তৈরি অ্যানিমেশন ছবি আনসলভ স্টারস দেখানো হয়।চলমান সংকট সমাধানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সম্মানজনকভাবে পদত্যাগের আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহউদ্দিন আহমদ। আজ রোববার দুপুরে অজ্ঞাত স্থান থেকে কয়েকটি টেলিভিশনে পাঠানো এক ভিডিও বার্তায় তিনি আরও বলেন, দমন-পীড়ন, হত্যা-নির্যাতন এবং মামলা-হামলা চলমান আন্দোলনকে আরও বেগবান করবে। সালাহউদ্দিন আহমদ আরও বলেন, ‘এখনো সময় আছে, সরকারকে আহ্বান জানাব, গ্রেপ্তারকৃত নেতা-কর্মীদের মুক্তি দিন। সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করুন। নির্দলীয় সরকারের দাবি মেনে নিন।’....বিস্তারিত
তোমরাই হচ্ছ আমাদের আগামীর বাংলাদেশ। আগামীর বাংলাদেশে তোমাদের নেতৃত্ব দিতে হবে। ভালো মানুষ হতে হবে। দেশকে মাদক, সন্ত্রাস, দুর্নীতি ও সাম্প্রদায়িকতার হাত থেকে বাঁচাতে হবে।’ এ কৃতী সংবর্ধনা শুধু শিক্ষার্থীদের নয়, শিক্ষকদেরও উৎসাহ জুগিয়েছে। গতকাল শনিবার নারায়ণগঞ্জ, নওগাঁ, দোহার ও নবাবগঞ্জ উপজেলার মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট, দাখিল ও সমমানের পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পাওয়া কৃতী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন। প্রথম আলোর উদ্যোগে ও মুঠোফোন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান টেলিটকের সহায়তায় দেশব্যাপী এ সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়েছে।নারায়ণগঞ্জনারায়ণগঞ্জ ক্লাব অডিটোরিয়ামে সকাল ১০টায় অনুষ্ঠান শুরু হয়।নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, ‘শুধু মেধাবী হলেই হবে না। তোমাদের সৎ ও সাহসী হতে হবে। অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জে মেধাবী ছাত্র তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী ও লেভেল পরীক্ষায় পদার্থবিজ্ঞানে দেশের সর্বোচ্চ এবং এ লেভেল পরীক্ষায় পদার্থ ও রসায়নে বিশ্বে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছিল। বেঁচে থাকলে সে এ দেশকে বিশ্ববাসীর কাছে মাথা উঁচু করে দিত। কিন্তু খুনিরা তাকে বাঁচতে দেয়নি। এদের বিরুদ্ধে তোমাদের প্রতিবাদী হতে হবে।’ অধ্যাপক রুমন রেজা বলেন, ‘একাত্তরের রক্ত দিয়ে অর্জিত আমাদের স্বাধীনতা। আমাদের লড়াই এখনো থামেনি। এ লড়াইয়ে যুক্ত হোক তোমাদের মতো কৃতী মেধাবীরা। তাহলে এ দেশে একদিন বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে।’আরও বক্তব্য দেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রফিউর রাব্বি, প্রথম আলোর অর্থ ও বাণিজ্য পাতার সম্পাদক আসজাদুল কিবরিয়া, নারায়ণগঞ্জ আইডিয়াল স্কুলের প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেন, হাজী মো. এখলাছ উদ্দিন ভূঁইয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. শহীদুল্লাহ ভূঁইয়া প্রমুখ ।কৃতী শিক্ষার্থী মধ্যে প্রতিক্রিয়া জানায় নওশীন তাবাসসুম, অনামিকা তাহসিন, সিথি সাহা, রিদওয়ান আহমেদ ও ফাহিম প্রিয়ম। জেলায় সেরা ফল অর্জনকারী আইডিয়াল স্কুল, নারায়ণগঞ্জ সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় ও হাজী মো. এখলাছ উদ্দিন ভূঁইয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজকে ক্রেস্ট দিয়ে সম্মাননা জানানো হয়। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন নারায়ণগঞ্জ বন্ধুসভার সাংগঠনিক সম্পাদক রাসেল আদিত্য। নাচ পরিবেশন করে অর্চনা নৃতাঙ্গন। গান করেন ক্লোজআপ ওয়ান তারকা পুলক। জেলার ৮৩০ জন শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।নওগাঁসকাল ১০টায় শহরের করোনেশন হল সোসাইটির মিলনায়তনে অনুষ্ঠান শুরু হয়। জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেন নওগাঁর রবীন্দ্রসংগীত সমিঞ্চলন পরিষদের সদস্যরা।প্রবীণ শিক্ষক আলতাফ হোসেন বলেন, ‘আমার ৩৬ বছরের শিক্ষকতার জীবনে অনেক নক্ষত্রতুল্য ভালো ছাত্রের পতন দেখেছি। আগামী দিন যেন আরও ভালো করতে পারো সে কথা ভাবতে হবে। সর্বোপরি একজন ভালো মানুষ হতে হবে।’নওগাঁ সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ শরিফুল ইসলাম খান বলেন, ভালো মানুষ হতে হবে। দেশকে মাদক, সন্ত্রাস, দুর্নীতি ও সাম্প্রদায়িকতার হাত থেকে বাঁচাতে হবে।অধ্যাপক আতাউল হক সিদ্দিকী বলেন, ‘আমাদের বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থায় নিজের দেশকে ভালোবাসার কোনো উপাদান নেই। আমরা সবাই শিক্ষিত হয়ে লুটপাট, দুর্নীতি ও অনৈতিক কাজকে উৎসাহিত করে থাকি। এ অনুষ্ঠান শিক্ষার্থীদের ভালো মানুষ হতে অনুপ্রেরণা দেবে।’ কৃতী শিক্ষার্থী বিধান মণ্ডল, আবদুল আজিজ, ফাওজিয়া জান্নাত ও কামরুন নাহার তাদের বক্তব্যে প্রথম আলোকে অভিনন্দন জানিয়ে বলে, ‘আমরা মাদক-সন্ত্রাস-দুর্নীতি ও ইভ টিজিং মুক্ত থাকতে চাই।’ অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন আস্তান মোল্লা কলেজের অধ্যক্ষ মর্তুজা রেজা, সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লতিফা খাতুন, নওগাঁ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ সালামতউল্লাহ, টেলিটকের কর্মকর্তা সেলিম উদ্দিন, সাবেক পিপি শেখ আনোয়ার হোসেন প্রমুখ। সভাপতিত্ব করেন নওগাঁ বন্ধুসভার আহ্বায়ক আইনজীরী দেওয়ান আবদুল বারী। জেলার সেরা তিনটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান—কেডি সরকারি উচ্চবিদ্যালয়, নওগাঁ সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় ও নওগাঁ জিলা স্কুলকে সম্মাননা জানানো হয়। সবশেষে গান গেয়ে মাতিয়ে তোলেন ক্লোজআপ ওয়ান তারকা আতিক।দোহার ও নবাবগঞ্জকলাকোপা কোকিলপ্যারি উচ্চবিদ্যালয় মিলনায়তনে সকাল সাড়ে ১০টায় অনুষ্ঠান শুরু হয়। দোহার উপজেলার কবি নজরুল বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শরিফ উদ্দিন বলেন, সামাজিক দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি প্রথম আলো যেসব উদ্যোগ নিয়েছে, তা অনুকরণীয়।শিক্ষানুরাগী কে এস আলম পোখরাজ বলেন, প্রথম আলোর এ ধরনের কর্মকাণ্ড সৃজনশীল মানুষ গড়তে ভূমিকা রাখবে। মেধাবীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আগামীর বাংলাদেশে তোমাদের নেতৃত্ব দিতে হবে।’ কলাকোপা কোকিলপ্যারি উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রায়হান উদ্দিন বলেন, প্রথম আলো দেশের কাজ করছে। নবাবগঞ্জ মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম বলেন, কৃতী সংবর্ধনা দিয়ে প্রথম আলো শুধু শিক্ষার্থী নয়, শিক্ষকদেরও উৎসাহ জুগিয়েছে।অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ইকরাশি আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক একলাল উদ্দিন, মহাকবি কায়কোবাদ উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক এম এম হুমায়ন কবির, জয়পাড়া পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মোস্তাক আহমদ, অভিভাবক হুমায়ন কবির, কৃতী শিক্ষার্থী উমেঞ্চ হানি, তাওহীদুল ইসলাম, দোলনচাঁপা প্রমুখ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন নবাবগঞ্জ বন্ধুসভার সভাপতি এম হাসান লিটু ও সাধারণ সম্পাদক বিলকিস চৌধুরী। অনুষ্ঠানে দোহার নবাবগঞ্জের শতাধিক শিক্ষার্থীর হাতে ক্রেস্ট ও সনদ তুলে দেওয়া হয়। প্রতিবেদন তৈরিতে সহায়তা করেছেন আসিফ হোসেন, শফিকুল ইসলাম ও আজহারুল হক।পানি-রোধী মোবাইল ফোনও সর্বোচ্চ ৩০ মিনিটের বেশি পানির নিচে ডুবিয়ে রাখলে সমস্যা দেখা দিতে পারে। সেখানে নকিয়ার তৈরি লুমিয়া ৮০০ মডেলের একটি স্মার্টফোন তিন মাসের বেশি পানির নিচে থাকার পরও সচল হয়েছে।‘টাইমস অব ইন্ডিয়া’ এক খবরে জানিয়েছে, টেকসই মোবাইল ফোন নির্মাতা হিসেবে নকিয়ার সুনাম রয়েছে। পুরোনো মডেলের মোবাইল থেকে হালের লুমিয়া মডেল পর্যন্ত টেকসই স্মার্টফোন হিসেবে দাবি করে নকিয়া। এবারে সুইডেনের এক নকিয়া ফোন ব্যবহারকারী জানালেন, তাঁর লুমিয়া ৮০০ মডেলের একটি স্মার্টফোন লেকের পানিতে ডুবে যাওয়ার তিন মাস পর তিনি এটি খুঁজে পেয়েছেন। সুইডেনের এই ব্যক্তিটির নাম রজার নিলসন।নিলসনের দাবি হচ্ছে, লেকের তলায় পাথরের ফাঁকে এটি ময়লা-আবর্জনার মধ্যে পড়ে ছিল। উদ্ধারের পর এই মোবাইল ফোনটি শুকিয়ে ও যন্ত্রাংশ পরিষ্কার করে চালু করার পর এটি পুনরায় সচল হয়েছে এবং স্বাভাবিকভাবে কাজ করা যাচ্ছে। এ ঘটনাটি তিনি নকিয়া সুইডেনের ফেসবুক পাতায় শেয়ার করেছেন। নকিয়া লুমিয়া ৮০০ মডেলের এ স্মার্টফোনটির মাছের মতো টিকে থাকার এ গুণটি নিয়ে এরই মধ্যে ব্লগ ও সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইটে বিভিন্ন তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।সরকারি দলের পক্ষ থেকে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় বাড়ানোর অনুরোধ জানানো হয়েছে। তাদের মতে, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার জন্য সাত দিন যথেষ্ট সময় নয়। ইতিমধ্যে জাতীয় পার্টিও একই রকম দাবি করেছে, যে কারণে কমিশন মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় বাড়ানোর চিন্তাভাবনা করছে। এ বিষয়ে আগামী রোববার সিদ্ধান্ত হতে পারে। তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২ ডিসেম্বর।এদিকে, গতকাল বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনের নেওয়া নীতিগত সিদ্ধান্ত হচ্ছে, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, সরকার নিযুক্ত জেলা পরিষদের প্রশাসক ও তিন পার্বত্য জেলার চেয়ারম্যানের পদ লাভজনক। সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে হলে তাঁদের পদত্যাগ করতে হবে। তবে জানতে চাইলে সিইসি কাজী রকিব উদ্দীন আহমেদ গতকাল সাংবাদিকদের বলেন, কমিশন এ বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেয়নি।উপজেলা চেয়ারম্যানদের পদ লাভজনক নাকি অলাভজনক—এই সিদ্ধান্ত জানতে গতকাল উপজেলা চেয়ারম্যানদের অনেককে নির্বাচন কমিশনে ঘোরাঘুরি করতে দেখা গেছে। উচ্চ আদালতের রায়ে সিটি করপোরেশনের মেয়রের পদকে লাভজনক এবং পৌর মেয়রের পদকে অলাভজনক বলা হয়েছে।যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিরোধী দলের সঙ্গে সমঝোতার জন্য তাঁরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তত্পরতা অব্যাহত আছে। আজ রোববার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিট পরিদর্শন শেষে মন্ত্রী এসব কথা বলেন...বিস্তারিত
চট্টগ্রামের বেসরকারি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইউএসটিসি) শিক্ষার্থীরা দাবি আদায়ে গতকাল শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত সহ-উপাচার্যকে কয়েক ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখেন। এ সময় তাঁরা ক্যাম্পাসে ভাঙচুরও করেন।বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থায়ী উপাচার্য, সহ-উপাচার্য, ডিন, অধ্যাপক ও সহযোগী অধ্যাপক নিয়োগ; ইনস্টিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ার্সের (আইইবি) সদস্যপদ গ্রহণ এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০১০ বাস্তবায়নসহ বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলন করছেন বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের শিক্ষার্থীরা।শিক্ষার্থীরা গতকাল বেলা সাড়ে ১০টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ফয়’স লেক এলাকার ক্যাম্পাসের সামনের রাস্তায় মানববন্ধন করেন। এরপর তাঁরা চলে যান সহ-উপাচার্য এ এইচ এম ইসহাক চৌধুরীর কার্যালয়ে। তাঁরা দাবিদাওয়া নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালনা কর্তৃপক্ষ জনসেবা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ইফতেখারুল ইসলামের সঙ্গে সরাসরি আলোচনার দাবি জানান। সহ-উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করে চেয়ারম্যানের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য চাপ দিতে থাকেন। তখন সহ-উপাচার্য মুঠোফোনে এবং ফ্যাক্স বার্তার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়টি চেয়ারমানকে জানান। কিন্তু চেয়ারম্যানের কাছ থেকে কোনো সাড়া না পাওয়ায় দুপুর একটার দিকে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবন, শ্রেণীকক্ষ ও শিক্ষকদের কক্ষে ভাঙচুর চালান। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক বন্ধ করে দেওয়া হয়। বেলা দুইটার দিকে শিক্ষার্থীরা আবার সহ-উপাচার্যের কক্ষে ফিরে যান। বিকেল সাড়ে তিনটায় সেখানে উপস্থিত হন অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (এডিসি) মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ। তিনি বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন।পরে ভারপ্রাপ্ত সহ-উপাচার্যসহ চার সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল ঢাকায় ইউএসটিসি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গিয়ে শিক্ষার্থীদের দাবির ব্যাপারে সরাসরি চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলার আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। অবরোধমুক্ত হন ভারপ্রাপ্ত সহ-উপাচার্য।আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের পক্ষে ইমতিনান মজুমদার বলেন, ‘আমরা যৌক্তিক দাবিদাওয়া নিয়ে চেয়ারম্যানের সঙ্গে বসে আলাপ করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তিনি আমাদের অনুরোধ রক্ষা না করায় কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।’এ ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত সহ-উপচার্য ইসহাক চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘ছাত্রদের দাবিগুলো যৌক্তিক। আমরা এ ব্যাপারে তাদের অনুরোধে জনসেবা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ইফতেখারুল ইসলামের সঙ্গে বার বার যোগাযোগের চেষ্টা করেছি। বিকেল পর্যন্ত তাঁর কাছ থেকে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। পরে সিদ্ধান্ত হয়েছে চার সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল রোববার (আজ) ঢাকায় গিয়ে সরাসরি তাঁর সঙ্গে কথা বলবে।’২৫ কোটি ব্যবহারকারীর মাইলফলক পেরিয়ে গেছে পেশাদারদের সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট হিসেবে খ্যাত লিঙ্কডইন। লিঙ্কডইনের প্রধান নির্বাহী জেফ ওয়েনার সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটির তৃতীয় প্রান্তিকের আর্থিক হিসাব প্রকাশের সময় এ তথ্য জানিয়েছেন।|জেফ ওয়েনার জানিয়েছেন, বর্তমানে প্রতি মাসে লিঙ্কডইনের সক্রিয় ব্যবহারকারী দাঁড়িয়েছে ২৫ কোটি ৯০ লাখ, যা বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিক অর্থাত্ এপ্রিল থেকে জুন মাসে ছিল ২৩ কোটি ৮০ লাখ। ২০১২ সালের তৃতীয় প্রান্তিকে লিঙ্কডইন ব্যবহারকারী ছিল ১৮ কোটি ৭০ লাখ। অর্থাত্ এক বছরে লিঙ্কডইনে সাত কোটিরও বেশি ব্যবহারকারী যুক্ত হয়েছেন। প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট ম্যাশেবল এক খবরে এ তথ্য জানিয়েছে।সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট হিসেবে ১২০ কোটিরও বেশি সক্রিয় ব্যবহারকারী নিয়ে বর্তমানে শীর্ষে রয়েছে ফেসবুক। ৩০ কোটি সক্রিয় ব্যবহারকারী নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে গুগল প্লাস। সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট হিসেবে ব্যবহারকারীর সংখ্যার দিক থেকে টুইটারকে ছাড়িয়ে গেল লিঙ্কডইন। বর্তমানে ২৩ কোটি সক্রিয় ব্যবহারকারী টুইটার ব্যবহার করেন।ওয়েনার আরও জানিয়েছেন, দ্রুত লিঙ্কডইনেরর ব্যবহারকারী বেড়ে যাওয়া ও এতে সক্রিয় থাকার কারণে বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি আয় করেছে প্রতিষ্ঠানটি। ওয়াল স্ট্রিটের বাজার বিশ্লেষকেরা ধারণা করেছিলেন এ বছর ৩৮ কোটি ৪৫ লাখ মার্কিন ডলার লাভ করবে প্রতিষ্ঠানটি কিন্তু বাস্তবে এ লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ৩৯ কোটি ৩০ লাখ মার্কিন ডলার লাভ করেছে লিঙ্কডইন। চলতি বছরের চতুর্থ প্রান্তিক অর্থাত্ ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত লিঙ্কডইনের আয় আরও বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।লিঙ্কডইন সাইটটি ২০০২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ২০০৩ সালে এটি আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হয়। পেশাদার ব্যক্তিদের সামাজিক যোগাযোগের সাইট হিসেবে লিঙ্কডইন দ্রুত জনপ্রিয়তা পেয়েছে। বর্তমানে গবেষকেরা বলছেন, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে লিঙ্কডইন প্রোফাইলকে গুরুত্ব দেন চাকরিদাতারা।গাজীপুরের কালিয়াকৈর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলায় গতকাল বৃহস্পতিবার দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে একজন বাসচালক ও একজন লেগুনাচালক দগ্ধ হয়েছেন।সকালে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার সফিপুর বাজারে একটি লেগুনায় আগুন ধরিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। এতে চালক এনামুল হকের (২০) মাথা, ঘাড়, হাতসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ পুড়ে যায়। পরে আশপাশের লোকজন এসে আগুন নেভান। কালিয়াকৈরের আন্ধারমানিক এলাকার আবদুল কুদ্দুসের ছেলে এনামুলকে সফিপুর আনসার একাডেমি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।অগ্নিদগ্ধ এনামুল বলেন, ‘সফিপুর বাজারে পৌঁছামাত্রই তিন-চারজন লোক এসে গাড়ির গতিরোধ করে। পরে গাড়ির গেট বন্ধ করে বলে, “ওরেসহ পুইড়া মার”। এ কথা বলতে বলতেই আমার শরীরে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়।’আনসার একাডেমি হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক খালিদ হোসেন জানান, এনামুলের শরীরের ১৫ ভাগ পুড়ে গেছে।কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক জানান, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। এর মধ্যে আবুল হোসেন নামে এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে কসবার টি আলী বাড়ি মোড়ে একদল দুর্বৃত্ত সিদ্দিক পরিবহন নামের একটি খালি বাস থামিয়ে ভাঙচুর করে। পরে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। বাস থেকে নামতে গিয়ে চালক ইসমাইল মিয়ার (৩০) হাত ও পা দগ্ধ হয়।নির্বাচনকালীন সরকারের টেলিযোগাযোগমন্ত্রী ও বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেছেন, ‘বার্ন ইউনিটে অগ্নিদগ্ধ মানুষ দেখে একাত্তরের সেই ভয়াল দৃশ্যের কথা মনে পড়ছে। আমাদের দেশে রাজনৈতিক ইতিহাসে এটা একটি বর্বর অধ্যায়...বিস্তারিত
আগামী সংসদ নির্বাচনে বিএনপি অংশ না নিলে আওয়ামী লীগ একাই নির্বাচন করবে। গতকাল শনিবার দুপুরে রাজধানীর মহানগর নাট্যমঞ্চে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৬৭তম জন্মদিন উপলক্ষে যুবলীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম এ কথা বলেন।বিএনপির উদ্দেশে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, স্পিকার ডেকেছেন। এটাই শেষ সুযোগ। অন্তর্বর্তী সরকার কীভাবে চান, সংসদে এসে আলোচনা করুন। কিন্তু আপনারা যদি নির্বাচনে না আসেন, তাহলে আমরাও জনগণকে সঙ্গে নিয়ে একাই নির্বাচন করব। তিনি বলেন, সংবিধানসম্মতভাবে আগামী দিনে নির্বাচন হবেই। বিএনপি-জামায়াত আর হেফাজতে ইসলাম নির্বাচন প্রতিরোধে রাজপথে পাঁচ হাজার লোক জমায়েত করলে আওয়ামী লীগ ৫০ হাজার নেতা-কর্মী নিয়ে তাদের প্রতিরোধ করবে।এদিকে শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সড়কদ্বীপে আওয়ামী সাংস্কৃতিক জোটের এক অনুষ্ঠানে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী বক্তৃতা করেন। তিনি আয়োজকদের সমালোচনা করে বলেন, মঞ্চের সামনের লোকজন দেখে মনে হচ্ছে, অনুষ্ঠানটি শেখ হাসিনাকে ভালোবেসে নয়, কোনো বিশেষ উদ্দেশ্যে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়ে থাকতে পারে। প্রধানমন্ত্রীর জনপ্রিয়তা এত নিচে নামেনি যে এই রকম অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে হবে। তিনি এই ধরনের আয়োজন থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান।ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে স্বেচ্ছাসেবক লীগ আয়োজিত অপর এক আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, সংকট নিরসনে বিরোধী দলের সঙ্গে এখনো আলোচনার জন্য আওয়ামী লীগ প্রস্তুত। বিরোধী দলের কোনো প্রস্তাব থাকলে তা সংসদে এসে দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।এদিকে শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলো গতকাল দিনভর নানা কর্মসূচি পালন করেছে। সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগের ধানমন্ডির কার্যালয়ে এ উপলক্ষে কেক কাটা হয়। দলীয় সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে কেক কাটেন।অ্যাপলের সহ-প্রতিষ্ঠাতা স্টিভ জবস যে বাড়িটিকে অ্যাপল কম্পিউটারের প্রথম কার্যালয় হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন সেটিকে ঐতিহাসিক মর্যাদা দেওয়া হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালির ঐতিহাসিক কমিশন এ বাড়িটিকে ঐতিহাসিক নিদর্শন হিসেবে মর্যাদা দিচ্ছেন। এর ফলে বাড়িটিতে কোনোরূপ পরিবর্তন আনতে হলে এই কমিশনের অনুমতি লাগবে। বর্তমানে স্টিভ জবসের পারিবারিক গ্যারেজের কার্যালয়টিতে পর্যটকদের ভিড় বাড়ছে।জবসের পারিবারিক গ্যারেজে বন্ধু স্টিভ ওজনিয়াককে নিয়ে অ্যাপল কম্পিউটারের কার্যক্রম শুরু করেন স্টিভ জবস। তখন ওজনিয়াকের বয়স ছিল ২৬ এবং জবসের ২১। অ্যাপল প্রতিষ্ঠার জন্য জবস তাঁর গাড়ি ও ওজনিয়াক তাঁর প্রোগ্রামেবল ক্যালকুলেটর বিক্রি করে দেন। জবসের বাড়ির গ্যারেজে প্রতিষ্ঠিত এ কার্যালয় থেকে প্রথম ১০০টি অ্যাপল ১ কম্পিউটার তৈরি হয়। পরে অ্যাপলের কার্যালয় সরিয়ে কুপারটিনো শহরে নিয়ে যান স্টিভ জবস।বর্তমানে স্টিভ জবসের বাড়িটি তাঁর বোনের মালিকানায় রয়েছে। এ বাড়িটিতে ঐতিহাসিক নিদর্শনের স্বৃকীতি দেওয়ায় তিনি কোনো আপত্তি করেননি।প্রসঙ্গত, ২০১১ সালে অগ্ন্যাশয়ের ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন অ্যাপল প্রতিষ্ঠাতা স্টিভ জবস।‘দেশে এক প্রচণ্ড গণবিস্ফোরণ ঘটতে যাচ্ছে’ বলে দাবি করেছে জামায়াতে ইসলামী। দলটি বলেছে, গোটা বাংলাদেশ আজ অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছে। অত্যাচার-নির্যাতন চালিয়ে জনগণের আন্দোলন দাবিয়ে রাখা যাবে না।জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান গতকাল বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এ দাবি করে কথাগুলো বলেন। ‘অবরোধ চলাকালে গত তিন দিনে সারা দেশে ২২ জন মানুষকে হত্যা, তিন হাজার মানুষকে আহত করা ও বিরোধী দলের চার হাজারের বেশি নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ’ জানিয়ে এ বিবৃতি দেওয়া হয়।বিবৃতিতে বলা হয়, সর্বস্তরের মানুষ আজ সরকারের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে এসেছে। কিন্তু তাদের দমনে পুলিশ, র‌্যাব ও আওয়ামী লীগের কর্মীদের হামলা ও তাণ্ডবে দেশ আজ রক্তাক্ত হয়ে পড়েছে। পুলিশের এমন নির্যাতন বা সরাসরি গুলির ঘটনা খুব কম। আওয়ামী লীগের আশকারা পেয়ে পুলিশ এ ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছে বলে দাবি করা হয় বিবৃতিতে।নির্বাচনকালীন সরকারের তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, আগামীকাল (সোমবার) দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। বিরোধীদলীয় নেতা যদি এখনো মনে করেন নির্বাচনে অংশ নেবেন, তবে এই সময়সীমা বাড়ানো হবে...বিস্তারিত
সারা দেশের স্বেচ্ছাসেবীরা নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ করতে পারবে—এমন একটি অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করেছে ওয়ান ডিগ্রি ইনেশিয়েটিভ ফাউন্ডেশন। সংগঠনটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টি করতে সারা দেশে বিভিন্ন স্কুল, কলেজের শিক্ষার্থীদের নিয়ে কাজ করছে। শুক্রবার ঢাকার মোহাম্মদপুরে সেন্ট যোসেফ স্কুল অ্যান্ড কলেজে স্বেচ্ছাসেবী দলগুলোর বিভিন্ন প্রকল্প দিনব্যাপী প্রদর্শন করা হয়। এ অনুষ্ঠানেই পারস্পরিক যোগাযোগের অ্যাপটি চালু করা হয়।ওয়ান ডিগ্রির প্রতিষ্ঠাতা সাবহানাজ রশীদ জানান, ‘অ্যাকটিভ সিটিজেনস’ নামের এই অ্যাপ শুধু নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ করা নয়, বরং সামাজিক সচেতনতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। প্রাথমিকভাবে ওয়ান ডিগ্রির সঙ্গে যুক্ত দেশের বিভিন্ন স্থানের স্কুল, কলেজভিত্তিক ৬০টি দল এই অ্যাপ ব্যবহার করবে। অ্যাপটির মাধ্যমে দলগুলোর কার্যক্রম সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যাবে। উদ্যোক্তারা জানান, ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে সবার জন্য অ্যাপটি উন্মুক্ত করা হবে। অ্যাপটি সবার জন্য উন্মুক্ত হলে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও সামাজিক সচেতনতায় ব্যক্তিপর্যায়ে সচেতনতা তৈরি হবে। যেটি চর্চার মাধ্যমে অনুপ্রাণিত প্রত্যেকে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে পারবে বলে মনে করছে ওয়ান ডিগ্রি ইনেশিয়েটিভ। —মো. রাফাত জামিলআওয়ামী লীগের মনোনয়ন বাছাইয়ের প্রক্রিয়া আগামী ১০ নভেম্বর থেকে শুরু হবে বলে জানিয়েছেন যোগাযোগমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ওবায়দুল কাদের। আজ বুধবার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির ‘মিডিয়া সেন্টার, ওয়েবসাইট ও ক্যান্টিন’ উদ্বোধন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগের তৃণমূল পর্যায়ের সব নেতাকে নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। ১০ নভেম্বর থেকে মনোনয়ন বাছাইয়ের কাজ শুরু হবে এবং আমি আশাবাদী, বিরোধী দলও অতি শিগগির নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করবে।’ যোগাযোগমন্ত্রী বলেন, বিরোধীদলীয় নেতা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কথা বলে সংকট নিরসনে আশার আলো জাগিয়েছেন। এখন বিরোধী দল আরেকটু এগিয়ে এলে পুরো সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে। তিনি বলেন, ‘বিরোধী দল প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে না এলেও তারা এই আমন্ত্রণকে প্রত্যাখ্যান করেনি। আমি এখনো আশাবাদী, বিরোধী দল কোনো পূর্বশর্ত ছাড়া সরকারের সঙ্গে সংলাপে অংশগ্রহণ করবে এবং আগামী নির্বাচনেও অংশ নেবে।’ এর সঙ্গে তিনি যোগ করেন, দুই নেত্রীর এত দিন কোনো আলোচনা হয়নি। এখন যে ধরনের আলোচনাই হোক তা সংকট নিরসনে আশার সঞ্চার করেছে। সংকট তৈরি না হলে কোনো সমাধান হয় না—মন্তব্য করে তিনি বলেন, বর্তমান সংকট দেখে দেশবাসীর ভয় পেলে চলবে না; বরং আশাবাদী হবে। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, সমস্যা নিরসনের দায়িত্ব প্রথমত সরকারের এবং সরকার সে দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করেছে। বাকিটা বিরোধী দলকে করতে হবে। সাংবাদিকতা পেশা সম্পর্কে যোগাযোগমন্ত্রী বলেন, ‘সাংবাদিকতা একটি সম্মানজনক পেশা। মন্ত্রিত্ব চলে গেলে আমি সাংবাদিকতা করব।’ এ সময় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি শাহেদ চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এর আগে মন্ত্রী ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির বার্ষিক সাধারণ সভা উপলক্ষে দুই লাখ টাকা বরাদ্দের ঘোষণা দেন।গণমাধ্যমের কাজে নিয়োজিত সব গাড়িই হরতাল-অবরোধের আওতামুক্ত—বিএনপি বারবার এ কথা বললেও ঢাকার বাইরে এখনো এ কথা মানছেন না অনেকেই। মঙ্গল ও বুধবারের মতো গতকাল বৃহস্পতিবারও পত্রিকাবাহী গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে।দক্ষিণ চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের হাসমতের দোকান এলাকায় বুধবার রাতে প্রথম আলো পত্রিকা বহনকারী মাইক্রোবাস (চট্ট মেট্রো-চ-১১-৩৯৪২) জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা ইট ছুড়ে ভাঙচুর করেছেন। বগুড়ায় অবরোধকারীদের হামলা-ভাঙচুরের শিকার হয়েছে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল আরটিভির একটি গাড়ি।এর আগে গত মঙ্গলবার বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছিলেন, সংবাদপত্রবাহী ও গণমাধ্যমের ব্যবহূত গাড়ি, অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি, জরুরি ওষুধ সরবরাহের গাড়ি হরতাল ও অবরোধের আওতামুক্ত। কিন্তু তা সত্ত্বেও পত্রিকাবাহী গাড়ি ভাঙচুর এবং সাংবাদিকদের ওপর হামলা চলছেই।আমাদের সাতকানিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি পত্রিকা বহনকারী এজেন্ট মোহাম্মদ শাহজাহানের উদ্ধৃতি দিয়ে জানান, প্রথম আলো পত্রিকা বহনকারী মাইক্রোবাস পত্রিকা নেওয়ার জন্য কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রামে আসছিল। রাত ১০টার দিকে সাতকানিয়ার চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের হাসমতের দোকান এলাকায় পৌঁছালে অবরোধকারীদের ইটের আঘাতে গাড়িটির কাচ ভেঙে চালক ইব্রাহিম আহত হন। এতে চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেললে গাড়ি সড়কের পাশে খাদে পড়ে যায়। এ ঘটনায় গাড়ির সহকারী এনামও আহত হন। আহত গাড়িচালককে প্রথমে লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।একই সময়ে অবরোধকারীদের ইটের আঘাতে রতন দেব (৩২), ছোটন দেব (২২), নয়ন দেব (২০), মো. শফি (২০) ও অশোক বড়ুয়া (৪৮) নামের আরও পাঁচজন যাত্রী আহত হন। তাঁদের স্থানীয় হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।বগুড়ায় অবরোধকারীদের হামলা-ভাঙচুরের শিকার হয়েছে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল আরটিভির একটি গাড়ি। অবরোধকারীরা গাড়িটিতে পেট্রল ঢেলে আগুন দেওয়ার চেষ্টা করলে চালক দ্রুত গাড়ি নিয়ে পালাতে গিয়ে আহত হন। বুধবার রাত পৌনে আটটার দিকে ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার নয়মাইল নামক স্থানে ওই হামলার ঘটনা ঘটে।হামলার সময় গাড়িতে থাকা আরটিভির অনুষ্ঠান বিভাগের একজন প্রযোজকের প্রডাকশন সহকারী শাহাদৎ হোসেন প্রথম আলোকে জানান, প্রযোজককে রেখে তাঁরা গাইবান্ধা থেকে বুধবার রাতে একটি মাইক্রোবাসযোগে ঢাকায় ফিরছিলেন। মাইক্রোবাসটির সামনে আরটিভির ব্যানার টানানো ছিল। রাত পৌনে আটটার দিকে মাইক্রোবাসটি বগুড়ার নয়মাইলে পৌঁছালে অবরোধকারীদের বাধার মুখে পড়ে। ১০ থেকে ১৫ জনের দলটি আরটিভির কর্মী পরিচয় জানার পর গাড়ি চালিয়ে যেতে বলে। সঙ্গে সঙ্গে পেছন থেকে চার থেকে পাঁচজন অবরোধকারী লাঠিসোঁটা ও রড হাতে গাড়ির পেছন থেকে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর শুরু করেন। এ সময় আরও কয়েকজন বোতল থেকে গাড়িতে পেট্রল ছিটাতে থাকেন।অবস্থা বেগতিক দেখে চালক সাদেক আলী দ্রুত গাড়ি চালিয়ে চলে যেতে চাইলে অবরোধকারীদের ছোড়া ইট ও ভাঙা কাচের আঘাতে তিনি আহত হন।শাজাহানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল আলম আরটিভির গাড়িতে হামলার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।ডিইউজের স্মারকলিপি: ১৮ দলের ডাকা হরতাল-অবরোধ কর্মসূচিতে ঢাকাসহ সারা দেশে সাংবাদিকদের ওপর বিক্ষিপ্ত হামলা, বোমা নিক্ষেপ ও সন্ত্রাসী ঘটনার প্রতিবাদে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) একাংশের নেতারা গতকাল বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি স্মারকলিপি দিয়েছেন। এতে গণমাধ্যম ভবন ও গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর হামলাকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়েছে। পাশাপাশি সাংবাদিকদের নিরাপত্তায় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর সরাসরি হস্তক্ষেপ কামনা করেন সাংবাদিক নেতারা। বিজ্ঞপ্তি।হানাহানিতে বছরের শেষটাথমকে গেলআমাদের দেশটা।দেশটা চলছিল ঠিকইভাই-বোন-দাদারাজনীতিবিদেরাদিলে তাতে বাধা।পাবলিক বেঁচে ছিল ঠিকইভরা ছিল মায়েদের কোলবেতাল পলিটিকস এসেগায়ে গায়ে দিল পেট্রল!রাজনীতি পচে গেলভীষণ ময়লামানুষ পুড়িয়ে মারেকরে কয়লা।
‘জানব, জানাব, দুর্নীতি রুখব’ এই স্লোগান নিয়ে গতকাল শনিবার আন্তর্জাতিক তথ্য জানার অধিকার দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে মুন্সিগঞ্জ ও মানিকগঞ্জে শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা ও তথ্য মেলার আয়োজন করা হয়।মুন্সিগঞ্জ জেলা প্রশাসন ও সচেতন নাগরিক কমিটির (সনাক) যৌথ আয়োজনে গতকাল বিকেল চারটায় জেলা শিল্পকলা একাডেমী প্রাঙ্গণে দুই দিনব্যাপী তথ্য মেলার উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল হাসান। মেলায় জেলার বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ২৮টি স্টল রয়েছে। স্টলগুলোতে ভিড় ছিল তথ্য সেবাগ্রহীতাদের। তাঁদের তথ্য প্রদানে ও তথ্য সংগ্রহ পদ্ধতি জানাতে ব্যস্ত ছিলেন কর্মকর্তারা।এর আগে বেলা সাড়ে তিনটায় মুন্সিগঞ্জ শহরের অঙ্কুরিত মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য প্রাঙ্গণ থেকে একটি বিশাল শোভাযাত্রা বের হয়। এটি শহর প্রদক্ষিণ করে শিল্পকলা একাডেমিতে মেলা প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয়। মেলা উদ্বোধনের পর হয় আলোচনা সভা। সনাকের মুন্সিগঞ্জ জেলা সভাপতি জাহাঙ্গীর হাসানের সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেন জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল হাসান, সরকারি হরগঙ্গা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক সুখেন চন্দ্র ব্যানার্জি, সিভিল সার্জন কাজী শরিফুল আলম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) সাগরিকা নাসরিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাকির হোসেন মজুমদার, সনাকের তথ্য ও পরামর্শ ডেস্ক কমিটির আহ্বায়ক তানভীর হাসান প্রমুখ।দিবসটি উপলক্ষে মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শহরে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। এতে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। পরে জেলা প্রশাসকের সমেঞ্চলনকক্ষে আলোচনা সভা হয়।সেখানে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. আসলাম হোসেন বলেন, তথ্য অধিকার আইন পাস হলেও জনগণ এখনো এ সম্পর্কে খুব একটা জানেন না। এ কারণে তেমন একটা সুফলও তাঁরা পাচ্ছেন না।সভায় আরও বক্তব্য দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অমিত দেবনাথ, বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাকের জেলা প্রতিনিধি আবু জাফর ও পাশার নির্বাহী পরিচালক ফরিদ খান।পিলখানা হত্যা মামলার রায় আগামী ৫ নভেম্বর ঘোষণা করা হবে। ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক আখতারুজ্জামান আজ বুধরায় রায় ঘোষণার এই নতুন তারিখ ধার্য করেন।আজ এ মামলার রায় ঘোষণার কথা ছিল। কিন্তু মামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আইনজীবীরা জানিয়েছেন, আদালতের প্রস্তুতি শেষ না হওয়ার কারণে রায় হচ্ছে না।এ ব্যাপারে রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান আইনজীবী আনিসুল হক গতকাল প্রথম আলোকে বলেছিলেন, ‘আমি শুনেছি, রায় লেখা শেষ না হওয়ায় কাল রায় হচ্ছে না।’তবে একাধিক সূত্র জানায়, রায়ের দিন ঠিক থাকলেও নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে বিপুলসংখ্যক আসামিকে আনা-নেওয়ার প্রস্তুতি নিয়ে সংশয় দেখা দেয়।২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় বিদ্রোহের সময় বিদ্রোহী বিডিআর সদস্যদের হাতে বাহিনীর সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদ, ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন। এ ঘটনায় ৮৫০ জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দেয় সিআইডি। এর মধ্যে নাসির উদ্দীন আহম্মেদ পিন্টুসহ ২৩ জন বেসামরিক ব্যক্তিও রয়েছেন। মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে মোট এক হাজার ৩৩৩ জনকে সাক্ষী করা হলেও তদন্ত কর্মকর্তাসহ ৬৫৪ জনের সাক্ষ্য ও জেরার মধ্য দিয়ে সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়। এসব সাক্ষী ৭৮৩ জন আসামির বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ পর্যন্ত মামলা ২৩২ কার্যদিবস অতিক্রম করেছে।গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার এমসি বাজার মুলাইদ এলাকার মনিকা ফ্যাশন অ্যান্ড সোয়েটার লিমিটেড নামের একটি কারখানায় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এতে কারখানার চেয়ারম্যান মোফাজ্জল হোসেন (৫০) আহত হয়েছেন। তাঁকে মাওনা চৌরাস্তায় এ কে মেমোরিয়াল হাসপাতাল অ্যান্ড ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে অর্ধশতাধিক লোক ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়ক থেকে মিছিল নিয়ে প্রথমে কারখানায় ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পরে কারখানার ভেতরে ঢুকে আসবাবপত্রে অগ্নিসংযোগ করে। এ সময় দুর্বৃত্তদের হামলায় মোফাজ্জল হোসেন আহত হন।মোফাজ্জলের ভাতিজা আরিফ হোসেন অভিযোগ করেন, তেলিহাটি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সফিক মোড়লের নেতৃত্বে একদল লোক এ ঘটনা ঘটিয়েছে।শ্রীপুর থানার এসআই গোলাম কিবরিয়া জানান, দুর্বৃত্তরা কারখানায় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে।রাজধানী ঢাকাকে অবরুদ্ধ করে ১৮-দলীয় জোটের ‘গণতন্ত্রের অভিযাত্রা’ কর্মসূচি পণ্ড করে দিল সরকার। অভিযাত্রা সফল করতে না পারায় আজ সোমবার ঢাকায় একই কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছে আন্দোলনরত জোট। আর ঢাকার বাইরে জেলা-উপজেলা ও বিভাগীয় শহরে রাজপথ, রেলপথ ও নৌপথে আজ অবস্থান কর্মসূচি পালন করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।গণতন্ত্রের অভিযাত্রা কর্মসূচি ঘোষণার পর সরকারি দল তা প্রতিরোধের ঘোষণা দেয়। পুলিশও জানিয়ে দেয়, বিএনপিকে নয়াপল্টনে সমবেত হতে দেবে না এবং খালেদা জিয়াকেও বাসা থেকে বের হতে দেবে না। কাল পুলিশ ও সরকারি দল তাদের কথা রেখেছে। বিরোধীদলীয় নেতা-কর্মীদের কর্মসূচি পালন তো দূরে থাক, রাজপথে দাঁড়াতেই দেয়নি। আবার নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যালয়ের সামনে কেন্দ্রীয় নেতাদের জড়ো হওয়ার চেষ্টা করতেও দেখা যায়নি।ঢাকায় কর্মসূচির সমর্থনে সকাল থেকে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে কয়েক শ আইনজীবী পতাকা হাতে বিক্ষোভ করেন। তাঁরা আদালত চত্বর থেকে বেরিয়ে নয়াপল্টনে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তাঁদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ বারবার জলকামান ব্যবহার করলেও লাঠিপেটা করেনি, ভেতরেও ঢোকেনি। তবে সরকারি দলের নেতা-কর্মীরা ভেতরে ঢুকে যখন বিরোধী দলপন্থী আইনজীবীদের ধাওয়া ও মারপিট করছিলেন, পুলিশ তখন তাঁদের নিবৃত্ত করেনি। বরং রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে সরকারি দলের কর্মীরা পুলিশের পাহারায় ব্যাপক তৎপরতা চালিয়েছেন।প্রায় একই সময়ে জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপি-জামায়াতপন্থী সাংবাদিকদের সমাবেশে আওয়ামী লীগের কর্মীরা হামলা চালান। বাইরে থেকে ইটপাটকেল ছুড়ে সমাবেশ পণ্ড করে দেন তাঁরা। এ ছাড়া মালিবাগে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে শিবিরের কর্মী মুনসুর প্রধানিয়া নিহত হন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেলা সোয়া ১১টার দিকে জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা মালিবাগের সোনালীবাগের গলির ভেতর থেকে একটি মিছিল বের করে মালিবাগ ডিআইটি সড়কে আসেন। মিছিলটি মালিবাগ রেলক্রসিংয়ের দিকে যেতে থাকলে পুলিশ ধাওয়া করে। মিছিলকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ককটেল ও ইট ছুড়তে থাকেন। পুলিশ বেশ কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছোড়ে। রামপুরা থানা পুলিশের একটি দল মালিবাগ সুপার মার্কেটের পাশ দিয়ে চৌধুরীপাড়ার ওই গলিতে ঢুকে পড়লে জামায়াত-শিবির কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। মিছিলকারীরা ইট ছুড়লে তিন পুলিশ সদস্য একটি দোকানে ঢুকে পড়েন এবং দোকানের ঝাঁপ আটকে দেন। শিবির কর্মীরা ঝাঁপ ভেঙে দোকানে ঢুকতে গেলে পুলিশ গুলি করে। গুলিতে সেখানেই মুনসুর রাস্তায় পড়ে যান।মুনসুরের বন্ধু পরিচয় দিয়ে মনোয়ার হোসেন নামে একজন প্রথম আলোকে বলেন, মুনসুর আশকোনা ৩ নম্বর ওয়ার্ড শিবিরের সভাপতি ছিলেন। তবে বোন ফেরদৌসী আক্তার দাবি করেন, মুনসুরের রাজনৈতিক সম্পৃক্ততার বিষয়ে তাঁরা কিছু জানেন না।বেলা আড়াইটার দিকে কমলাপুর রেলস্টেশনে বোমা বিস্ফোরণে রেলওয়ের নিরাপত্তাকর্মী আবুল কাশেম নিহত হন। এর বাইরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপি-জামায়াতপন্থী সাদা দলের শিক্ষকদের ওপর সরকারি দলের কর্মীদের হামলা ছাড়া বড় ধরনের কোনো সহিংসতা বা নাশকতার ঘটনা ঘটেনি।গতকালের ঘটনায় পুলিশ রাজধানীতে ৪০৯ জনকে আটক করে। তাঁদের মধ্যে অনেকেই বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মী বলে পুলিশ দাবি করেছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কর্মসূচি চলাকালে পুলিশের চারজন সদস্য ও বিএনপি-জামায়াতের ককটেল বিস্ফোরণে দুজন আহত হয়েছেন। বিএনপি কর্মসূচি সফল করতে না পারলেও রাজধানীবাসীকে ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে।গতকাল রাতে পুলিশের একটি সূত্র জানায়, বিরোধী জোটের কর্মসূচি অব্যাহত থাকায় পুলিশের প্রস্তুতিও আগের মতোই থাকবে। এ ছাড়া, কর্মসূচি পণ্ড করে দিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সরকারি দল সারা দেশ থেকে রাজধানীকে বিচ্ছিন্ন করে রাখার যে পদক্ষেপ নিয়েছে, সেটাও অব্যাহত থাকবে বলে বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে।রাতে রাজশাহী থেকে প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক জানান, রাজশাহী থেকে ছেড়ে যাওয়া ঢাকাগামী পদ্মা এক্সপ্রেস ট্রেন ঈশ্বরদী যাওয়ার পর সেখান থেকে রাজশাহীতে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।কাল খুব সকাল থেকেই রাজধানীর ভেতরে ও প্রবেশমুখগুলোতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের লাঠি হাতে ব্যাপক উপস্থিতি ও তৎপরতা বিএনপির সব প্রস্তুতিকে ব্যর্থ করে দেয়। সাহস করে দু-একজন নেতা রাজপথে বের হলেও ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ অন্যরা আত্মগোপনে ছিলেন।৫ জানুয়ারির নির্বাচন প্রতিহত করতে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ঢাকা অভিমুখে অভিযাত্রা কর্মসূচি ঘোষণা করেন। তিনি দলের নেতা-কর্মী ও সক্ষম মানুষকে নয়াপল্টনে সমবেত হওয়ার আহ্বান জানান। তবে কাল পুলিশ বিএনপির চেয়ারপারসনকেও তাঁর গুলশানের বাসা থেকে বের হতে দেয়নি। তাঁর বাড়িও অবরুদ্ধ করে রাখে।পুলিশ ও সরকারি দলের নেতা-কর্মীদের নজিরবিহীন তৎপরতায় বিএনপি-জামায়াতের ব্যাপক প্রস্তুতি কোনো কাজেই আসেনি। লাখ লাখ নেতা-কর্মী ঢাকায় এসেছেন, বিএনপির এমন দাবির সঙ্গে বাস্তবের কোনো মিল পাওয়া যায়নি।নয়াপল্টনে সমবেত হননি কেউ: নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে নেতা-কর্মীদের সমবেত হওয়ার কথা থাকলেও গতকাল সকাল থেকে সেখানে চার-পাঁচজন নেতাকে আসতে দেখা গেছে। তাঁদের পুলিশ আটক করে নিয়ে যায়। তাঁদের মধ্যে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইনাম আহমেদ চৌধুরী নয়াপল্টনে যেতে চাইলে তাঁকে দৈনিক বাংলা মোড় থেকে আটক করা হয়। পরে রাতে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও সাবেক সাংসদ রওশন আরা ফরিদ এবং মহিলা দলের আরও তিনজন নেতাকে নয়াপল্টন এলাকা থেকে আটক করা হয়। সোনারগাঁও থানা মহিলা দলের সহসভাপতি জান্নাতুল ফেরদৌসী গতকাল সকাল সাড়ে নয়টার দিকে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রবেশের চেষ্টা করেন। পুলিশ বাধা দিলে তিনি বলেন, হয় তাঁকে ভেতরে যেতে দিতে হবে, নয়তো গ্রেপ্তার করতে হবে। না হলে তিনি সেখানেই অবস্থান করবেন। এরপর পুলিশ তাঁকে আটক করে নিয়ে যায়। ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুলসহ অন্যা নেতারা নয়াপল্টনে আসার চেষ্টাই করেননি।নয়াপল্টন ও এর আশপাশের এলাকায় বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। প্রতিটি সড়কে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা হয়। এসব এলাকায় পুলিশ কাউকে জড়ো হতে দেয়নি। কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কের দুই পাশে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে আটকে দেয় পুলিশ। ওই পথে যাতায়াতকারীদের প্রত্যেককে দাঁড় করিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।সুপ্রিম কোর্টের ভেতরে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার মাহবুব হোসেনের নেতৃত্বে অবস্থান নেন আইনজীবীরা। তাঁরা বাইরে বের হওয়ার চেষ্টা করলেও পুলিশ সেখানেই তাঁদের আটকে দেয়। সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য মাহবুবুর রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ওসমান ফারুক, কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা জয়নাল আবেদিন ও মাসুদ তালুকদার।গত শুক্র ও শনিবার কর্মসূচি সফল করতে জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন স্থায়ী কমিটির সদস্য মঈন খান ও ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজউদ্দিন আহম্মেদ। শেষ বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের সময় কেবল হাফিজউদ্দিনকে দেখা গেছে। অবশ্য সংবাদ সম্মেলন শেষে প্রেসক্লাব থেকে বের হওয়ার সময় তাঁকে আটক করে পুলিশ।বের হতে পারেননি খালেদা জিয়া: পুলিশের বাধার মুখে এক ঘণ্টা চেষ্টা করেও গুলশানের বাসভবন থেকে বেরিয়ে আসতে পারেননি বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ‘গণতন্ত্রের অভিযাত্রা’য় যোগ দিতে বেলা তিনটার পর গুলশানের বাসভবন থেকে বের হয়ে গাড়িতে ওঠেন খালেদা জিয়া। সকাল থেকেই বাড়ির মূল ফটকের সামনে ছিলেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্য। খালেদা জিয়ার গাড়ি বাড়ির মূল ফটকে আসতেই তা আটকে দেয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। প্রায় আধা ঘণ্টা গাড়িতে অপেক্ষা করে নেমে আসেন খালেদা জিয়া। কিন্তু পায়ে হেঁটেও তাঁকে এগোতে দেওয়া হয়নি। এ সময় তিনি পুলিশ সদস্যদের বকাঝকা করেন, সরকারের বিরুদ্ধেও নিজের ক্ষোভ ঝাড়েন। বাড়ির মূল ফটকের সামনে বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষার পর বিকেল চারটার দিকে বাড়ির ভেতরে আঙিনায় চলে যান তিনি। এরপর বন্ধ করে দেওয়া হয় মূল ফটক। বাড়ির আঙিনায় জাতীয় পতাকা হাতে কিছুক্ষণ বসেন খালেদা জিয়া। এ সময় তাঁর বাড়ির দেয়াল টপকে কয়েকজন সাংবাদিক ভেতরে প্রবেশ করেন। তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন বিরোধীদলীয় নেতা। সোয়া চারটার দিকে আবার বাসায় ঢুকে যান বিরোধীদলীয় নেতা। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাঁর বাড়িতে যাওয়ার পথ বালুভর্তি তিনটি ট্রাক ও পূর্ব পাশের গলিতে দুটি ট্রাক আড়াআড়িভাবে রেখে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে শনিবার রাত থেকেই।কর্মসূচি: গতকাল রাতে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির নেতা হাফিজউদ্দিন বলেন, নির্বাচনী তফসিল স্থগিত না হওয়া পর্যন্ত দেশের প্রতিটি জেলা-উপজেলা ও বিভাগীয় শহরে রাজপথ, রেলপথ ও নৌপথে অবস্থান কর্মসূচি চলবে।তবে এরপর মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক বিবৃতিতে বলেছেন, আজ শুধু ঢাকায় গণতন্ত্রের অভিযাত্রা কর্মসূচি থাকবে। এ ছাড়া শুধু আজ জেলা-উপজেলা ও বিভাগীয় শহরে রাজপথ, রেলপথ ও নৌপথে অবস্থান কর্মসূচি চলবে।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দপ্তরে গতকাল ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৈঠকে ভারত থেকে বিদ্যুৎ ক্রয় এবং দুই দেশের মধ্যে স্থলসীমান্ত চুক্তিসহ দ্বিপক্ষীয় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দুই নেতার মধ্যে আলোচনা হয়েছে। খবর ইউএনবির।প্রধানমন্ত্রীর গণমাধ্যম উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী জানান, নিউইয়র্কে সংবাদ সম্মেলন করে শেখ হাসিনা ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর আলোচনার বিস্তারিত তুলে ধরবেন। জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনে স্থানীয় সময় গতকাল বিকেলে ওই সংবাদ সম্মেলন হওয়ার কথা।মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী দাতো শ্রী মোহাম্মদ নাজিব বিন তুন আবদুল রাজাকের সঙ্গেও গতকাল একই স্থানে বৈঠক করেন শেখ হাসিনা। দুই দেশের পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাঁদের মধ্যে আলোচনা হয়।গতকাল সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর যুক্তরাষ্ট্র-প্রবাসীদের দেওয়া এক সংবর্ধনায় যোগ দেওয়ার কথা। আজ তিনি ঢাকার উদ্দেশে নিউইয়র্ক ছাড়তে পারেন।ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) চারজন নেতাকে আটক করেছে বলে দাবি করে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮-দলীয় জোটের শরিক দল ইসলামী ঐক্যজোট। আজ বুধবার বেলা দুইটার দিকে রাজধানীর রামপুরা এলাকা থেকে তাঁদের আটক করা হয়।ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান আবদুল লতিফ নেজামী প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, ‘তাঁরা হেফাজতের মিটিং থেকে ফিরছিলেন। ডিবি পুলিশ কেন তাঁদের আটক করেছে এখন পর্যন্ত জানি না।’ দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, আটক নেতারা হলেন ইসলামী ঐক্যজোটের সহকারী মহাসচিব মাওলানা আহলুল্লাহ ওয়াসেল, সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি সাখাওয়াত হোসাইন, সহদপ্তর সম্পাদক আলতাফ হোসাইন ও ঢাকা মহানগর কমিটির সদস্য মঞ্জুর মুজিব। একই সঙ্গে ওই চার নেতা হেফাজতে ইসলামের ঢাকা মহানগর কমিটিতেও আছেন।তবে আলতাফ হোসাইন ছাড়া বাকি তিন নেতাকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা মহানগর পুলিশের উপকমিশনার মাসুদুর রহমান প্রথম আলো ডটকমকে জানান, আটক তিনজনকে পুরোনো মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।ইসলামী ঐক্যজোটের দায়িত্বশীল নেতারা জানান, আটক চার নেতা বেলা ১১টায় রাজধানীর বারিধারা মাদ্রাসায় হেফাজতে ইসলাম ঢাকা মহানগর কমিটি আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেন। সেখান থেকে একটি ব্যক্তিগত গাড়িতে করে তাঁরা লালবাগ জামেয়া আরাবিয়া কোরআনিয়া মাদ্রাসায় যাচ্ছিলেন। রামপুরা এলাকা থেকে তাঁদের আটক করে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।স্কাউট আন্দোলনে অসাধারণ অবদান রাখার জন্য রৌপ্য ব্যাঘ্র পুরস্কার পেয়েছেন স্থানীয় সরকারসচিব ও বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আবু আলম মো. শহিদ খান।গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে স্কাউটসের জাতীয় কাউন্সিলের ৪২তম বার্ষিক সাধারণ সভা উদ্বোধন শেষে এ পুরস্কার তুলে দেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। অনুষ্ঠানে ১০ জনকে রৌপ্য ব্যাঘ্র ও সাতজনকে রৌপ্য ইলিশ পদকে ভূষিত করা হয়।‘গণতন্ত্রের অভিযাত্রা’ কর্মসূচিতে পুলিশি বাধার মুখে বাড়ি থেকে বের হতে না পেরে বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যদের ধমক দেন। বাড়ি গোপালগঞ্জ কি না জানতে চান। তিনি বলেন, গোপালগঞ্জের নামই বদলে যাবে, গোপালগঞ্জ আর থাকবে না।বিএনপির চেয়ারপারসন পুলিশের উদ্দেশে বলেন, ‘হাসিনার দালালি করে লাভ হবে না। দেশের মানুষের সঙ্গে থাকুন।’গতকাল রোববার বেলা তিনটার দিকে বাসা থেকে নিচে নেমে গাড়িতে ওঠেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। গাড়িটি বাড়ির ফটক পর্যন্ত আসার পর পুলিশ আটকে দেয়। তিনি প্রায় আধা ঘণ্টা গাড়ির ভেতরেই বসে ছিলেন। তাঁর ব্যক্তিগত নিরাপত্তাকর্মীরা পথ ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ করলেও পুলিশ তা শোনেনি। একপর্যায়ে খালেদা জিয়া গাড়ি থেকে বের হয়ে হেঁটে এগোতে চান। তাঁর হাতে ছিল জাতীয় পতাকা। কিন্তু পুলিশ এগোতে দেয়নি। এ সময় খালেদা জিয়া পুলিশের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনাদের সঙ্গে আমাদের কোনো বিরোধ নেই। এটা তো ঠিক নয়, আমাকে বাড়ি থেকে বের হতে দেবেন না। আপনাদের অফিসার কোথায়, তাঁর সঙ্গে কথা বলতে চাই।’ তিনি বলেন, ‘সাহস থাকলে সরকার কাউন্টার কর্মসূচি দিয়ে দেখাতে পারত। কিন্তু তা না করে তারা ডিসি-এসপিদের দিয়ে ভাড়া লোক এনে আমাদের কর্মসূচিতে বাধা দিচ্ছে।’ খালেদা জিয়া গণমাধ্যমকর্মীদের সামনেই এসব কথা বলছিলেন।এ সময় উপস্থিত পুলিশের কিছু নারী সদস্য নিজেদের মধ্যে কথা বলছিলেন। তাঁদের উদ্দেশ করে বিরোধীদলীয় নেতা বলেন, ‘এই যে মহিলা, মুখটা এখন বন্ধ কেন? এতক্ষণ কী বলছিলেন? মুখ বন্ধ কেন এখন? দেশ কোথায়, গোপালী? গোপালগঞ্জের নামই বদলে যাবে। গোপালগঞ্জ আর থাকবে না। আপনারা যা করছেন, আপনাদের ওপর আল্লাহর গজব পড়বে।’খালেদা জিয়া বলেন, ‘কত আলেম, এতিম, বিডিআর হত্যা করেছেন, ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাকে হত্যা করেছেন। সেদিন কোথায় ছিলেন হাসিনা? কেন সে ফোর্স পাঠায়নি? সে নিজেই জড়িত ছিল এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে, সে জন্য ফোর্স পাঠায়নি।’ বিএনপির চেয়ারপারসন পুলিশের উদ্দেশে বলেন, ‘হাসিনার দালালি করে লাভ হবে না। দেশের মানুষের সঙ্গে থাকুন। জনগণের সঙ্গে থাকেন। তবেই কাজে দেবে। দেশ বাঁচবে, মানুষ বাঁচবে। আজকে সবার দায়িত্ব হয়ে গেছে দেশ বাঁচানো, মানুষ বাঁচানো। আর আপনারা এখন ঘরে ঘরে ঢুকে মানুষ হত্যা করছেন। মনে করেন এগুলোর হিসাব নাই? এই মা-বোনের কান্না, ...বিডিআর অফিসারদের ওয়াইফদের কান্না, এগুলো কি বৃথা যাবে? এগুলো কোনো দিন বৃথা যাবে না। আজকে যাঁরা এই জুলুম-নির্যাতন করছেন, তাঁদেরকে একদিন এঁদের মতো চোখের পানি ফেলতে ফেলতে চোখ অন্ধ হয়ে যেতে হবে।’এ সময় খালেদা জিয়ার সামনে থাকা সাংবাদিকদের জটলার পেছন থেকে পুলিশ সদস্যরা হালকা ধাক্কা দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে খালেদা জিয়া পুলিশ সদস্যদের বলেন, ‘ধাক্কাধাক্কি বন্ধ করেন। ধাক্কাধাক্কি করবেন না। আমরা কেউ ধাক্কাধাক্কি করতে আসিনি। আমাদের গায়ের ওপর উঠে পড়বেন না। দূরে থাকেন। আপনাদের তো রাস্তায় থাকার কথা, বাড়িতে এসে গেছেন কেন?’ তখন কাছাকাছি থাকা পুলিশের কিছু নারী সদস্য কথা বলাবলি করছিলেন। তাঁদের ধমক দিয়ে খালেদা জিয়া বলেন, ‘আপনাদের মেয়েরা এ রকম ঝগড়া করে কেন? এই মেয়েরা! চুপ করো। কয় দিনের চাকরি হয়েছে, এত কথা বলো? কিসের জন্য এত কথা বলো। চুপ থাকো। বেয়াদব কোথাকার।’ খালেদা জিয়া সামনে থাকা একজন পুলিশ সদস্যকে বলেন, ‘আপনার অফিসার কোথায় গেল, সে তো আসল না। তাঁকে বলবেন আমার সঙ্গে কথা বলতে। বুঝছেন? বাংলায় বলছি, বোঝেননি? নাকি অন্য ভাষায় বলতে হবে?’ এরপর তিনি ফটক থেকে ভেতরে ঢোকেন এবং কিছুক্ষণ আঙিনায় চেয়ারে বসে থাকেন। সর্বশেষ বাসায় ঢোকার আগে আজ সোমবারও একই কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলে সাংবাদিকদের জানান।বিকল্প পথে প্রবেশ সাংবাদিকদের: গত শনিবার রাত থেকেই খালেদা জিয়ার বাসভবনের ফটকের কাছাকাছি সাংবাদিকদের ঘেঁষতে দেয়নি পুলিশ। গতকাল সকাল থেকেও ছিল একই অবস্থা। বিকেলে খালেদা জিয়া যখন বাসা থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করেন, তখনো সাংবাদিকদের সেখানে যেতে দেওয়া হয়নি। বেলা সাড়ে তিনটার পর কয়েকজন সাংবাদিক খালেদা জিয়ার বাড়ির পূর্ব পাশে লাগোয়া একটি বাড়ির সীমানাপ্রাচীরে উঠে ছবি তোলার চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে খালেদা জিয়ার বাড়ির ভেতর থেকে সীমানাপ্রাচীরে একটি মই দেওয়া হয়। প্রাচীরের ওপর কাঁটাতারের বেড়া ডিঙিয়ে ওই মই বেয়ে বেশ কয়েকজন সাংবাদিক খালেদা জিয়ার বাড়ির ভেতরে যান। পুলিশ তাঁদের বাধা দেওয়া চেষ্টা করে। একপর্যায়ে মইটি ভেঙে যায়। এরপর কিছু সাংবাদিক সীমানাপ্রাচীর থেকে একটি নারিকেলগাছ বেয়ে খালেদা জিয়ার বাড়িতে ঢোকেন।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক শরিফ জামিল বলেছেন, সরকারগুলোর নেপথ্য সহযোগিতায় বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি পরিবেশদূষণ ঘটেছে। নারায়ণগঞ্জেও একই ঘটনা ঘটেছে। তাই সাধারণ মানুষকেই সচেতন হয়ে পরিবেশদূষণের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।গতকাল শনিবার ‘নারায়ণগঞ্জের পরিবেশ সমস্যা ও করণীয়’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে শরিফ জামিল এসব কথা বলেন। বাপার নারায়ণগঞ্জ শাখার উদ্যোগে নারায়ণগঞ্জ ক্লাব কনভেনশন সেন্টারে ওই বৈঠক হয়।বৈঠকে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেন, ‘সিটি করপোরেশন মার্কেট নির্মাণের ৪০০ কোটি টাকার প্রকল্প বাদ দিয়ে শীতলক্ষ্যা নদীর টানবাজার প্রান্ত থেকে ধলেশ্বরীর কাশিপুর প্রান্ত পর্যন্ত সংযোগ খালটি পুনঃ খনন ও সৌন্দর্যবর্ধনের উদ্যোগ নিয়েছে।’বাংলাদেশ নিট পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিকেএমইএ) জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মোহামঞ্চদ হাতেম বলেন, নদীদূষণের জন্য নারায়ণগঞ্জের গার্মেন্টস, ডাইং কারখানাগুলোই সবচেয়ে বেশি দায়ী—এটা সত্য। শুরুতে অপরিকল্পিতভাবেই এ শিল্প গড়ে ওঠে। এ কারণে এ শিল্পের মাধ্যমে নদী দূষিত হয়। এখন বেশির ভাগ কারখানা চেষ্টা করে যতটা কম পরিবেশ দূষণ করা যায়।হাতেম অভিযোগ করেন, ‘পরিবেশ অধিদপ্তর আমাদের পরিবেশবান্ধব করার চাইতে পরিবেশের অজুহাতে বাণিজ্য করতে বেশি আগ্রহী।’স্থানীয় দৈনিক শতকথার সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা আজহার হোসেন বলেন, ‘শীতলক্ষ্যার পানি পান তো দূরে থাক, এর ওপর দিয়ে যাওয়ার সময় নাকে রুমাল দিতে হয় যেমনটি পচা লাশের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় হয়। শীতলক্ষ্যা এখন নদী নয়। নদীর নামে একটি লাশ।’বাপার নারায়ণগঞ্জ শাখার আহ্বায়ক এ বি সিদ্দিকের অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন জেলা পরিষদের প্রশাসক আবদুল হাই, পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক গোলাম মোহামঞ্চদ ভূঁইয়া, বিআইডব্লিউটিএর যুগ্ম পরিচালক মোহামঞ্চদ মঞ্জুর কাদির, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও নাগরিক আন্দোলনের নেতা রফিউর রাব্বি, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের পরিবেশ কমিটির প্রধান ও সিটি কাউন্সিলর অসিত বরণ বিশ্বাস, পরিবেশবাদী সংগঠন নির্ভীক-এর আহ্বায়ক ও নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এ টি এম কামাল, বিএনপির নেতা জান্নাতুল ফেরদৌস প্রমুখ।জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত সংগীতশিল্পী ন্যান্সির নেত্রকোনার বাসায় মঙ্গলবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে হঠাত্ করেই পুলিশি অভিযান চালানো হয়। পুলিশ সেখানে ঘণ্টা দুয়েকের মতো অবস্থান করে। ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের কতিপয় নেতা-কর্মীর সন্ধানে ন্যান্সির বাসায় পুলিশের এই সাঁড়াশি অভিযান চালানো হয়েছে বলে জানান নেত্রকোনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মফিজুল ইসলাম। ওই সময় ন্যান্সি সেখানে না থাকলেও এ ঘটনায় বিস্ময় প্রকাশ করেছেন তিনি। এ প্রসঙ্গে প্রথম আলো ডটকমকে ন্যান্সি বলেন, ‘ফেসবুকে দেওয়া আমার একটি স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে কয়েক দিন ধরে বিভিন্ন মহল থেকে হুমকি পেয়ে আসছি। আমার ধারণা, এর রেশ ধরে আমাকে হয়রানি করার জন্য এত রাতে আমার নেত্রকোনার বাসায় পুলিশ যায়। ঘটনার আকস্মিকতায় আমি রীতিমতো বিস্মিত হয়েছি।’ ন্যান্সি এও বলেন, ‘গভীর রাতে পুলিশের এ ধরনের আচরণের পর থেকে আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।’ এদিকে সদর থানার ওসি এস এম মফিজুল ইসলাম প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, ‘ন্যান্সির নেত্রকোনার বাড়িটি বেশ নিরিবিলি। গতকাল সন্ধ্যায় হঠাত্ করেই আমাদের কাছে খবর আসে ন্যান্সির বাড়িতে ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের কয়েকজন নেতা-কর্মী আশ্রয় নিয়েছেন। গোপন এই সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশের ছয় সদস্যের একটি দল ন্যান্সির বাসায় অভিযান চালায়। কিন্তু ন্যান্সির অসহযোগিতার কারণে শেষ পর্যন্ত তাঁর বাড়ির ভেতরে ঢুকতে পারেনি পুলিশ। ন্যান্সির মতো জনপ্রিয় একজন শিল্পীর কাছ থেকে এ ধরনের আচরণ আমরা প্রত্যাশা করিনি। এ কারণে ভবিষ্যতে তিনিও হয়তো আমাদের কাছ থেকে যেকোনো ধরনের সহযোগিতা পাওয়া থেকে বঞ্চিতও হতে পারেন।’ অন্যদিকে অভিযানে অংশ নেওয়া পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) শরীফ রেজাউল করিম প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, ‘আমার জানামতে ন্যান্সির নেত্রকোনার বাড়িটিতে কেউ থাকেন না। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি, গতকাল রাতে তাঁর বাড়ির ছাদে অজ্ঞাতনামা কিছু লোক অবস্থান করছে। যেহেতু ন্যান্সি ওই বাড়িতে থাকেন না, তাই আমরা জনপ্রিয় এই শিল্পীর নিরাপত্তার কথা ভেবে বাসায় যাই। সেখানে ন্যান্সির ছোট ভাইয়ের সঙ্গে দেখা হয় এবং মোবাইল ফোনে ন্যান্সির সঙ্গে কথাও হয়। কিন্তু ন্যান্সির কাছ থেকে তাঁর বাড়ির ভেতরে প্রবেশের অনুমতি না পেয়ে আমরা ফিরে আসি।’ সম্প্রতি এক ফেসবুক বার্তায় বিরোধীদলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন তারকা এই সংগীতশিল্পী। আর এতে করেই নানাভাবে আলোচিত হয়ে ওঠেন গানের বাইরে ন্যান্সি। ২১ অক্টোবর রাতে ওই ফেসবুক স্ট্যাটাসে নিজের রাজনৈতিক অবস্থান স্পষ্ট করেন ন্যান্সি। বিএনপির প্রতি সমর্থন জানানোর পাশাপাশি বিরোধীদলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়ার অনেক প্রশংসা করেন তিনি। ন্যান্সি তাঁর ফেসবুক বার্তায় লেখেন, ‘আর চুপ করে থাকতে পারলাম না। আজ বিরোধীদলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বক্তব্য শুনলাম। আমি ও আমার পরিবার সব সময় বিএনপিকে সাপোর্ট করেছি। কিন্তু আজ বিএনপির পক্ষপাতিত্ব করে নয়, বাংলাদেশের একজন সাধারণ ও সচেতন নাগরিক হিসেবে আমি বেগম খালেদা জিয়ার সুস্পষ্ট, সুচিন্তিত, জনহিতকর বক্তব্যকে সাধুবাদ জানাই। সেই সঙ্গে বেগম খালেদা জিয়া ও তাঁর পরিবারের প্রতি দীর্ঘদিন ধরে যাঁরা অন্যায় করেছেন বা করছেন, তাঁদের প্রতি তিনি (বেগম জিয়া) যে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টি দেখিয়েছেন, সেটাও নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবিদার।’ একই স্ট্যাটাসের পরের অংশে ন্যান্সি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমালোচনা করে লেখেন, ‘ক্ষমতার অপব্যবহারকারী শেখ হাসিনার জন্য নয়, দীর্ঘদিন ধরে শুধু শেখ মুজিবুর রহমানের কারণে যাঁরা আওয়ামী লীগকে সাপোর্ট করেছেন, তাঁদের সকল অন্যায় মুখ বুজে সহ্য করেছেন; এখনি সময় প্রতিবাদ করার। আমি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের মানুষ স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগের মিথ্যাচারের কবল থেকে মুক্তি চায়। তাই এবার শত প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে বিএনপি জয়লাভ করবে, ইনশাআল্লাহ।’ ফেসবুকে নিজের এ ধরনের মন্তব্য প্রকাশের ব্যাপারে ন্যান্সি প্রথম আলো ডটকমকে জানিয়েছিলেন, ‘আমার পরিবার জাতীয়তাবাদী আদর্শে অনুপ্রাণিত। আমার মা-ও ছিলেন জাসাসের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। আমার স্ট্যাটাসটি দিয়ে আমার রাজনৈতিক অবস্থানটা পরিষ্কার করলাম। স্বাধীন দেশের স্বাধীন নাগরিক হিসেবে আমি রাজনৈতিক আদর্শে চলার অধিকার রাখি। আর সেই হিসেবে মত প্রকাশের স্বাধীনতাও আমার আছে। এটা আমার শিল্পী সত্তার একেবারেই বাইরের ব্যাপার।’ ন্যান্সি আরও বলেছিলেন, ‘এই স্ট্যাটাস দেওয়ার পর আমি সে অর্থে কমেন্ট পাইনি ফেসবুকে। তবে অসংখ্য ফোন পাচ্ছি সেদিন রাত থেকে। সবাই আমার শুভাকাঙ্ক্ষী। সবার একটাই কথা—এটা আমি কী লিখালম! কেন লিখলাম। এ ধরনের মন্তব্যের কারণে আমার সংগীতের ক্যারিয়ারও শেষ হয়ে যেতে পারে। আমি যেন স্ট্যাটাসটা ডিলিট করি, সে পারমর্শও অনেকে দিয়েছেন। এ ছাড়া আমি যেন ফেসবুক বার্তাটির জন্য দুঃখ প্রকাশ করি।’ ন্যান্সি এ-ও বলেন, ‘রাজনৈতিক মতামত প্রকাশের কারণে শ্রোতারা যদি আমার গান না শোনেন, আমাকে গান গাইতে না ডাকেন, যদি জাতীয় পুরস্কার থেকে বঞ্চিত হই, ব্ল্যাক লিস্টেড হই, তাতে আমার কোনো দুঃখবোধ থাকবে না। আমি মনে করব শিল্পী হিসেবে আমি ব্যর্থ। কেননা সবাই আমাকে আমার কণ্ঠের জন্যই চেনেন। আমি যদি গান করার ক্ষমতা রাখি আর আমার গান যদি শ্রোতাদের ভালো লাগে, আমি অবশ্যই গান করে যাব। আমার রাজনৈতিক মত প্রকাশের কারণে আমার সংগীত ক্যারিয়ার ধ্বংস হয়ে যাবে, তা আমি কখনো বিশ্বাস করি না।’ ‘প্রজাপতি’ ছবির গানে কণ্ঠ দিয়ে ২০১১ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন খ্যাতনামা সংগীতশিল্পী ন্যান্সি।তদবিরের জোরে চট্টগ্রাম নগরের স্বনামধন্য সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কলেজিয়েট স্কুলের প্রধান শিক্ষকের পদে বসতে চেয়েছিলেন দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত শিক্ষক মোহন লাল বিশ্বাস। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাঁর সেই স্বপ্ন আর সফল হয়নি। গত বুধবার মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তর থেকে তাঁর বদলির আদেশ বাতিল করে দেওয়া হয়।২৬ নভেম্বর এক প্রজ্ঞাপনে মোহন লাল বিশ্বাসকে চট্টগ্রাম হাজী মুহম্মদ মুহসীন সরকারি উচ্চবিদ্যালয় থেকে কলেজিয়েট স্কুলে প্রধান শিক্ষক পদে বদলি করা হয়। বর্তমানে কলেজিয়েট স্কুলের প্রধান শিক্ষকের অতিরিক্ত দায়িত্বে নিয়োজিত মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) চট্টগ্রাম অঞ্চলের উপপরিচালক মোহাম্মদ আজিজ উদ্দিন বলেন, ‘শিক্ষামন্ত্রী মহোদয় বিষয়টি জানার পরে বদলির আদেশ প্রত্যাহারের নির্দেশনা দেন।’চট্টগ্রাম সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বে থাকা অবস্থায় মোহন লাল বিশ্বাসকে চলতি বছরে অনুষ্ঠিত এসএসসি পরীক্ষার উত্তরপত্র জালিয়াতির অভিযোগে কেন্দ্রসচিবের পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এরপর তাঁকে রাঙামাটি সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে বদলি করা হয়। তিনি সেই বদলি ঠেকিয়ে হাজী মুহম্মদ মুহসীন সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। ২০১০ সালে ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে মোহন লাল বিশ্বাসকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়। পরে তাঁর ইনক্রিমেন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়।বদলির আদেশ প্রত্যাহার প্রসঙ্গে মোহন লাল বিশ্বাসের প্রতিক্রিয়া জানতে তাঁর মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করেও সংযোগ পাওয়া যায়নি।সূত্র জানায়, ২৭ ফেব্রুয়ারি বোর্ডের তদন্ত কমিটি মোহন লাল বিশ্বাসকে কেন্দ্রসচিবের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতির সুপারিশ করে। ২৮ মার্চ বোর্ডের শৃঙ্খলা কমিটির সভায় সুপারিশটি অনুমোদন করা হয়। বোর্ড কর্তৃপক্ষ ৮ এপ্রিল মহাপরিচালকের দপ্তরে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য চিঠি পাঠায়। ৪ জুন মোহন লাল উচ্চ আদালতের মাধ্যমে রিট করে তাঁর বিরুদ্ধে গৃহীত সিদ্ধান্তের স্থগিতাদেশ চেয়ে আবেদন করেন। এরপর বোর্ড কর্তৃপক্ষ আপিলের মাধ্যমে স্থগিতাদেশটি স্থগিত করে দেয় এবং ১০ সেপ্টেম্বর মোহন লালের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠায়।বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮-দলীয় জোটের ‘গণতন্ত্রের অভিযাত্রা’ কর্মসূচি ঘিরে গতকাল রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে ছিল প্রায় দিনভর উত্তেজনা। আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের হামলায় পণ্ড হয়ে যায় প্রেসক্লাব চত্বরে বিএনপি-জামায়াতপন্থী সাংবাদিকদের বিক্ষোভ সমাবেশ।সকাল থেকেই প্রেসক্লাবের সব ফটকে পুলিশ অবস্থান নেয়। প্রধান ফটকের ছোট অংশটি দিয়ে আসা সবার পরিচয় জেনে ঢুকতে দেয় পুলিশ। সাংবাদিকদের প্রবেশে বাধা দেওয়া হচ্ছে—এ অভিযোগ তুলে বেলা ১১টার দিকে প্রধান ফটকে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি-জামায়াতপন্থী সাংবাদিকদের বাগিবতণ্ডা হয়। এর কিছুক্ষণ পরই বিএনপি-জামায়াতপন্থী সাংবাদিকদের শীর্ষস্থানীয় নেতা রুহুল আমিন গাজী ক্লাবের নিরাপত্তারক্ষীদের নির্দেশ দিয়ে প্রধান ফটকটি খুলে দেন। এ পর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে সাংবাদিকদের আরেক দফা তর্কাতর্কি ও ধাক্কাধাক্কি হয়। পরে আওয়ামী লীগপন্থী সাংবাদিকেরা অভিযোগ করেন, ফটক খুলে দেওয়ার কারণে সাংবাদিকদের সঙ্গে কিছু বহিরাগতও প্রেসক্লাবে প্রবেশ করেন।এদিকে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের বিএনপি-জামায়াতপন্থী নেতা-কর্মীরা প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে শুরু করেন সমাবেশ। তাঁদের ব্যানারে লেখা ছিল ‘বন্ধ গণমাধ্যম খুলে দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ’। সমাবেশ চলাকালে দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরীর নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ থেকে একটি মিছিল প্রেসক্লাবের সামনের রাস্তা অতিক্রম করছিল। মিছিলকারীদের হাতে জাতীয় পতাকায় বাঁধা লাঠি, ক্রিকেটের স্ট্যাম্প এবং কাঠ ও বাঁশের লাঠি ছিল। মিছিলটি থেকে স্লোগান দেওয়া হয় ‘পাকিস্তানের দালালেরা হুঁশিয়ার সাবধান। একটা-দুইটা শিবির ধর, ধইরা ধইরা জবাই কর’। প্রেসক্লাবের ভেতরের সমাবেশ থেকেও এ সময় স্লোগান দেওয়া হয় ‘শেখ হাসিনার গদিতে, আগুন জ্বালো একসাথে’। একপর্যায়ে আওয়ামী লীগের মিছিল থেকে সেখানে ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু হয়। লাঠি দিয়ে বাইরে টানানো মাইক ভেঙে ফেলা হয়। প্রেসক্লাবের মূল ফটকেও লাঠি দিয়ে আঘাত করা হয়। ক্লাবের ভেতর থেকেও পাল্টা ইটপাটকেল ছোড়েন বিএনপি-জামায়াতপন্থী সাংবাদিকেরা। প্রায় ১৫-২০ মিনিট এ অবস্থা চলতে থাকে। একপর্যায়ে তাঁরা প্রেসক্লাবের বারান্দা ও মিলনায়তনের ভেতরে ঢুকে যান। এ সময় পুলিশ ছিল প্রায় নিষ্ক্রিয়। পরে পুলিশ মিছিলকারীদের সরিয়ে দিলে তাঁরা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সংলগ্ন ফোয়ারা ও প্রেসক্লাবের বিপরীতে বিএমএ ভবনের সামনে অবস্থান নেন। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরীর নেতৃত্বে সরকার-সমর্থক সাংবাদিকেরা প্রেসক্লাবের ভেতরে জমায়েত হন। পরে তাঁরা সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই বিএনপি-জামায়াতপন্থী সাংবাদিকেরাও পাল্টা স্লোগান দেন। এ সময় দুই পক্ষের পরস্পরবিরোধী স্লোগানে নতুন করে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। আবার ক্লাবের বাইরে থেকে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরাও ইটপাটকেল ছোড়া শুরু করেন। পুলিশ তাঁদের সরিয়ে দিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়ে আসে।বেলা পৌনে একটার দিকে ইকবাল সোবহান চৌধুরী এবং ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশের সাধারণ সম্পাদক শাবান মাহমুদসহ আওয়ামী লীগপন্থী সাংবাদিকদের সমাবেশে উপস্থিত মফিজুল ইসলামের মাথায় একটি ইটের টুকরা পড়ে। এতে তাঁর মাথা ফেটে যায়। পরে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশের কোষাধ্যক্ষ।আওয়ামী লীগপন্থী সাংবাদিকদের অভিযোগ, বিএনপি-জামায়াতপন্থী সাংবাদিকদের ছোড়া ইটের আঘাতে মফিজুল আহত হয়েছেন। সাংবাদিক নামধারী কিছু বহিরাগত প্রেসক্লাবে ঢুকে এ ধরনের নাশকতা চালাচ্ছেন।ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান জানান, ‘আমরা বন্ধ গণমাধ্যম খোলার দাবিতে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করছিলাম। প্রেসক্লাবের ভেতরে নিয়মিত এ ধরনের সমাবেশ হয়। কিন্তু হঠাৎ করে সরকারদলীয় নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে এসে ইটপাটকেল ছুড়ে সমাবেশ পণ্ড করে দিয়েছে। আমরা এর নিন্দা জানাই।’বহিরাগতদের বিষয়ে জানতে চাইলে ইলিয়াস খান বলেন, ‘এখানে আমাদের সঙ্গে সংহতি জানাতে অনেকেই এসেছেন। চিকিৎসক, প্রকৌশলীসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ আমাদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করতে এসেছেন। তাঁদের বহিরাগত বলা কতটা সমীচীন, আমি জানি না।’ মফিজুল ইসলামের আহত হওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এটা নিন্দনীয়। আমরা সাংবাদিকেরা সবাই শান্তিপূর্ণভাবে সহাবস্থান করতে চাই।’আটক: সকাল সাড়ে নয়টার দিকে মনিরা বেগম নামের এক নারী প্রেসক্লাবের সামনে এসে নিজেকে কাজী জাফরের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য পরিচয় দেন। পুলিশ তাঁকে আটক করে। ১০টার দিকে কণ্ঠশিল্পী বেবী নাজনীন যান প্রেসক্লাবের ফটকে। তাঁকে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, প্রেসক্লাবের ভেতরে প্রবেশ করতে চাইলে আটক হতে হবে। আর বাসায় গেলে চলে যেতে পারেন। বেবী নাজনীন বাসার পথেই রওনা দেন।সাড়ে ১১টার দিকে নাজনীন হোসেন নামের এক নারী প্রেসক্লাবের সামনে এলে তাঁকেও আটক করে পুলিশ। নাজনীন নিজেকে আইনজীবী বলে দাবি করেন। নাজনীনকে নিয়ে যাওয়ার পর খোরশেদা নামের আরেক নারীকে কান্নাকাটি করতে দেখা যায়। জানতে চাইলে তিনি বলেন, তিনি নাজনীনের বাসায় কাজ করেন। শ্যামলীতে বাসা। কিন্তু তিনি বাসায় যাওয়ার পথ চেনেন না। এর কিছুক্ষণ আগে আরেক ব্যক্তিকে পুলিশ ভ্যানে তোলার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু নিজেকে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী দাবি করলে পুলিশ তাঁকে ছেড়ে দেয়। সকাল নয়টা থেকে বেলা ১১টার মধ্যে প্রেসক্লাবের সামনে থেকে পুলিশ আট-দশজনকে আটক করে।
ঢাকায় অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার নির্মাতা ক্যাসপারস্কি ল্যাবের বিশেষ আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত বুধবার দেশের করপোরেট ব্যবহারকারীদের জন্য বিশেষ এ বিজনেস টু বিজনেস (বিটুবি) অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। স্থানীয় একটি হোটেলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ক্যাসপারস্কি ল্যাব দক্ষিণ এশিয়ার ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলতাফ হালদে বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন। এ সময় তিনি বাংলাদেশে ক্যাসপারস্কি ল্যাবের অর্জন তুলে ধরেন। যৌথ এ আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে ক্যাসপারস্কি ল্যাবের পরিবেশক অফিস এক্সট্র্যাক্টসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা প্রবীর সরকার। —নিজস্ব প্রতিবেদকসেল্টা ভিগোর বিপক্ষে কাল রাতে ফুল হয়ে ফুটেছিলেন সেস ফ্যাব্রিগাস। তাঁর নৈপুণ্যে বার্সেলোনার জয় ৩-০ গোলে। এই জয়ে লা লিগায় বার্সার শীর্ষস্থান অক্ষুণ্নই কেবল নয়, আরও পাকাপোক্ত হলো। প্রতিপক্ষের মাঠে গতকাল আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা, জাভি আর নেইমারকে ছাড়াই মাঠে নেমেছিল কাতালানরা। ম্যাচের নবম মিনিটেই অ্যালেক্সিস সানচেজের গোলে এগিয়ে যায় জেরার্ডো মার্টিনোর দল। তাঁর গোলের নেপথ্যে অবশ্য আছে ফ্যাব্রিগাসের দারুণ এক শট। সেসের শট সেল্টা ভিগোর গোলরক্ষক ফিরিয়ে দিলে ফিরতি বলে গোল করেন এই চিলিয়ান স্ট্রাইকার। এটি ছিল এই মৌসুমে সানচেজের ষষ্ঠ গোল। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই নিজেই গোল পেয়ে যান ফ্যাব্রিগাস। প্রায় ২৫ গজ দূর থেকে নেওয়া তাঁর শট বারে লেগে গোলে ঢুকে যায়। এর কিছুক্ষণ বাদেই ফ্যাব্রিগাস নিজের দ্বিতীয় গোলটি করে বার্সাকে ৩-০ গোলে এগিয়ে দেন। ১১ ম্যাচে এখনো অপরাজিত থেকে বার্সেলোনার অর্জন ৩১ পয়েন্ট। একটি ম্যাচ কম খেলে ২৭ পয়েন্ট নিয়ে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ আছে দ্বিতীয় স্থানে। অ্যাটলেটিকোর চেয়ে ৫ পয়েন্ট পেছনে আছে রিয়াল মাদ্রিদ। তাদের অবস্থান তৃতীয়। আজ বুধবার রাতে নিজেদের মাঠে রিয়াল মুখোমুখি হবে গ্রানাডার। সূত্র: রয়টার্স।‘দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন নিয়ে যখন সংশয় ও সংঘাতপূর্ণ অবস্থা বিরাজ করছে, তখন নির্বাচন কমিশন সেনাবাহিনী মোতায়েনের যে প্রস্তাব করেছে; তা চরম হঠকারিতা ছাড়া আর কিছু নয়’ বলে দাবি করেছে ইসলামী ঐক্যজোট। সেনাবাহিনীকে জনগণের মুখোমুখি করে তাদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন ও বিতর্কিত করার জন্য একটি অপশক্তি তৎপরতা চালাচ্ছে বলে দলটি অভিযোগ করেছে।গতকাল বৃহস্পতিবার ইসলামী ঐক্যজোটের মজলিসে শূরার বৈঠকে নেতারা এই অভিযোগ করেন।দেশের সর্বোচ্চ বিচার অঙ্গন সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে গতকাল রোববার বিএনপি-জামায়াতপন্থী আইনজীবীদের ওপর হামলা চালিয়েছেন আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। এ সময় দুই নারী আইনজীবীকে লাথি, কিল-ঘুষি মারা হয় এবং লাঠি দিয়ে পেটানো হয়। হামলায় আরও বেশ কয়েকজন আইনজীবী আহত হন।সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণের বাইরে থাকা পুলিশ হামলাকারীদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেনি। একপর্যায়ে বিএনপি-জামায়াতপন্থী আইনজীবী এবং তাঁদের সঙ্গে থাকা কয়েকজন যুবক ও কিশোর একটি ভবনে উঠে হামলাকারীদের লক্ষ্য করে ইট, কাচের বোতলসহ বিভিন্ন সামগ্রী ছুড়ে মারেন। পরে পুলিশ সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে বিএনপি-জামায়াতপন্থী আইনজীবীসহ সাতজনকে আটক করে।বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮-দলীয় জোটের ডাকা গতকালের ‘গণতন্ত্রের অভিযাত্রা’ কর্মসূচি কেন্দ্র করে এসব ঘটনা ঘটে। এই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সকাল থেকে সুপ্রিম কোর্টের প্রতিটি ফটকসহ আশপাশে সতর্ক অবস্থান নেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। প্রায় সব ফটকই ছিল বন্ধ। সকাল ১০টার দিকে বিএনপি-জামায়াতপন্থী আইনজীবীরা সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে মিছিল করে মৎস্য ভবনের কাছের ফটকে এসে কর্মসূচির সমর্থনে ও সরকারবিরোধী স্লোগান দিতে থাকেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আইনজীবীদের সংখ্যা বাড়তে থাকে। পৌনে ১২টার দিকে আইনজীবীরা ফটকের বাইরে আসতে চাইলে পুলিশ কিছুটা এগিয়ে আসে। তখন আইনজীবীদের পাশ থেকে একটি ইটের টুকরা এসে পুলিশের ওপর পড়লে পুলিশ রঙিন পানি ছুড়ে ও সাউন্ড গ্রেনেড ফাটিয়ে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এরপর দফায় দফায় আইনজীবীরা ফটকের কাছে এসে বিক্ষোভ করেন, পুলিশ পানি ছুড়ে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে।দুপুরের পর আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের শতাধিক নেতা-কর্মী ওই ফটকের কয়েক গজ দূরে আরেকটি ফটকের সামনের সড়কে দাঁড়িয়ে সরকারের সমর্থনে স্লোগান দিতে থাকেন। বেলা সাড়ে তিনটার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবের দিক থেকে লাঠিসোঁটা নিয়ে দুটি মিছিল এসে তাঁদের সঙ্গে যোগ দেয়। কিছুক্ষণ পর তাঁরা লাঠিসোঁটা নিয়ে দৌড়ে মৎস্য ভবনের কাছের ফটকের সামনে গিয়ে ভেতরে থাকা বিএনপি-জামায়াতপন্থী আইনজীবীদের উদ্দেশে বলেন, ‘বাইর হ’ ‘বাইর হ’। জবাবে ওপাশ থেকে স্লোগান দেন আইনজীবীরা। এর একপর্যায়ে সরকারদলীয় নেতা-কর্মী-সমর্থকেরা পুলিশ ও গণমাধ্যমকর্মীদের ভিড় ঠেলে ফটক খুলে ঢুকে পড়েন। তাঁদের ধাওয়ায় ওই আইনজীবীরা দৌড়াতে থাকেন। হামলাকারীরা এ সময় আইনজীবী সিমকী ইমাম খানকে প্রায় ঘিরে ধরে লাথি, কিল-ঘুষি মারেন এবং লাঠি দিয়ে পেটাতে থাকেন। আরেক আইনজীবী রেহানা পারভীনকেও একইভাবে মারধর করা হয়। মারধরে তাঁর বাঁ পায়ের তালু ফেটে রক্ত বের হচ্ছিল। তাঁকে নাজেহালও করা হয়। লাঠিপেটা ও মারধরে আরও কয়েকজন আইনজীবী আহত হন।সিমকী ইমাম খান প্রথম আলোকে বলেন, ‘১৫-২০ জন ছেলে লাঠি দিয়ে মেরে ও লাথি মেরে আমাকে ফেলে দিয়ে মাথা, হাতসহ সারা শরীরে এলোপাতাড়ি আঘাত করেছে। তারা আমার কাপড়-চোপড় ছিঁড়ে ফেলেছে এবং গলা ও কানে থাকা স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নিয়েছে। কান ধরে টেনে বলেছে, “আর মিছিল করবি? আর বিএনপি করবি।” কয়েকজন সাংবাদিক ভাই এসে না বাঁচালে আমাকে তারা মেরেই ফেলত।’ধাওয়ার মুখে বিএনপি-জামায়াতপন্থী আইনজীবীরা পশ্চিম দিকে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনে ঢুকে কলাপসিবল ফটকে তালা লাগিয়ে দেন। তখন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী-সমর্থকেরা ভবনের পাশে একটি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেন। কয়েকজন আইনজীবী এরপর ছাদে ওঠেন, তাঁদের সঙ্গে ছিল কয়েকজন কিশোর ও যুবক। তাঁরা এ সময় পশ্চিম ও পূর্ব দিকের ভবন সংযোগকারী সেতুতে দাঁড়িয়ে নিচে ইটের টুকরা, কাচের বোতল, গ্লাসসহ বিভিন্ন সামগ্রী ছুড়ে মারেন। জবাবে নিচে অবস্থানকারীরা তাঁদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়ে। প্রায় আধা ঘণ্টা এ অবস্থা চলে। এ সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সেখানে ছিলেন না।বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে বাংলাদেশ আওয়ামী যুব আইনজীবী পরিষদের তৌহিদুর রহমানসহ কয়েকজন গিয়ে ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীদের সরিয়ে দেন এবং ওপরে থাকা আইনজীবী-যুবক ও কিশোরদের কিছু না ছোড়ার আহ্বান জানান। তৌহিদুর প্রথম আলোকে বলেন, তিনি পরিস্থিতি সামাল দিতে এসেছেন। এরপর তিনিসহ সঙ্গে থাকা কয়েকজন ভবনের তালাবদ্ধ ফটকের সামনে গিয়ে ভেতরে থাকা কয়েকজনকে তালা খুলতে বলেন। তখন ভেতরে থাকা রফিকুল হক তালুকদার গণমাধ্যমকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমি সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক। আজ আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছিলাম। সরকারের কিছু সন্ত্রাসী আমাদের ওপর হামলা করেছে।’ তৌহিদুর তাঁকে বক্তব্য বন্ধ করে তালা খুলতে বলেন। কিন্তু রফিকুল বক্তব্য অব্যাহত রাখলে এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে তুমুল বাগিবতণ্ডা হয়। এর মধ্যেও রফিকুল বলেন, ‘আমাদের দুজন আইনজীবী গুরুতর আহত হয়েছেন। তাঁদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও ২০-২৫ জন। তালা দিয়ে আমাদের অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। আগে কখনো সুপ্রিম কোর্টে ঢুকে এ ধরনের হামলা হয়নি। আমরা এ ন্যক্কারজনক ঘটনার নিন্দা জানাই। দোষী ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের দাবি জানাই।’রফিকুলের সঙ্গে থাকা আইনজীবীরা বলেন, পুলিশ, র্যাব ও ডিবি কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা ভেতরে ঢুকে এ হামলা চালিয়েছে। এ হামলায় পুলিশ-র্যাবও জড়িত। সুপ্রিম কোর্টের ভেতরে ঢুকে এ ধরনের হামলার বিরুদ্ধে প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাঁদের বক্তব্যের একপর্যায়ে তৌহিদুর ও তাঁর সঙ্গে থাকা কয়েকজন ওই স্থান ত্যাগ করেন।বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মারুফ হাসানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ আদালত প্রাঙ্গণে ঢুকে ওই ভবনের সামনে আসে। সঙ্গে ছিল ফায়ার সার্ভিসের একটি গাড়ি। তখন দুই ভবনের সংযোগকারী সেতুর একটি খুঁটি ঘেঁষে আগুন ধরানো হলে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা নিচ থেকে পানি ছিটিয়ে তা নেভান।পুলিশ কর্মকর্তারা ভবনের ওপরে থাকা আইনজীবীদের তালা খুলে বের হয়ে চলে যেতে বলেন। আইনজীবীরা এ সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে বলেন, ‘আপনারা কী নিরাপত্তা দেবেন? আপনারা আপনাদের কাজ করেন।’ পরে সন্ধ্যা ছয়টার দিকে কলাপসিবল ফটকের তালা খুলে অনেকেই বের হয়ে যান। জানা গেছে, ভেতরে আওয়ামীপন্থী কয়েকজন আইনজীবীও আটকা পড়েছিলেন। কলাপসিবল ফটকে তালা লাগানোর বিষয়টি কোনো পক্ষই স্বীকার করেনি।পুলিশ ওই সময় সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণের কয়েকটি জায়গায় অভিযান চালিয়ে বিএনপি-জামায়াতপন্থী চারজন আইনজীবী ও তিন যুবককে আটক করে।
ক্যারিবিয়ান দ্বীপরাষ্ট্র হাইতি শান্তিতে নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সামাজিক ব্যবসা কার্যক্রমের বিভিন্ন প্রকল্প এগিয়ে নিতে ১০ হাজার হেক্টর জমি বরাদ্দ করেছে। গতকাল শনিবার ইউনূস সেন্টারের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ লক্ষ্যে অধ্যাপক ইউনূস দেশটির কৃষিমন্ত্রীর সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন। সম্প্রতি নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত নবম ক্লিনটন গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভের (সিজিআই) বার্ষিক সম্মেলনের পাশাপাশি এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। সম্মেলনে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন, হাইতির প্রধানমন্ত্রী লঁরা লামোথি প্রমুখ অংশ নেন।হাইতিতে ইউনূসের আটটি সামাজিক ব্যবসা প্রকল্প কাজ করছে। আরও ১০টি প্রকল্প কার্যক্রম শুরু করার জন্য প্রস্তুতির শেষ পর্যায়ে রয়েছে। এ ছাড়া সামাজিক ব্যবসা পরিচালনার লক্ষ্যে জার্মানির ডয়েচে ব্যাংকের সঙ্গে ১০ লাখ মার্কিন ডলারের একটি ঋণচুক্তি স্বাক্ষর করেছে অধ্যাপক ইউনূসের প্রতিষ্ঠিত হাইতির সামাজিক ব্যবসা তহবিল এইচএসবিএফ।এদিকে আলবেনিয়া ও কসোভোর দারিদ্র্য দূরীকরণে অবদান রাখায় ড. ইউনূসকে আজীবন সম্মাননা দিয়েছেন আলবেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী ইদি রামা।দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের খসড়া আচরণবিধি নীতিগতভাবে অনুমোদন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিব উদ্দীন আহমেদ। আচরণবিধিতে বিশেষ কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে বলেও জানান তিনি। সিইসি বলেন, আচরণবিধি লঙ্ঘন করলে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে (আরপিও) শাস্তির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এই শাস্তি প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী সবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে । আজ বুধবার নির্বাচন কমিশনে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সিইসি এসব কথা বলেন।সিইসি বলেন, বিদ্যমান আচরণবিধি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আদলে ছিল। তাই বর্তমান আচরণবিধিতে পরিবর্তন আনা হয়েছে। আগামী রোববার থেকে সাত দিনের জন্য খসড়া আচরণবিধি অনলাইনে দেওয়া হবে। যেকোনো রাজনৈতিক দল, দেশি-বিদেশি সংস্থা থেকে শুরু করে যে কেউ চাইলে এ বিষয়ে মতামত দিতে পারবেন। এরপর আচরণবিধি চূড়ান্ত করা হবে। সিইসি আরও জানান, খসড়া আচরণবিধিতে সরকারের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রীদের ক্ষেত্রে কিছু বিধিনিষেধ আনা হয়েছে। যেমন, প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলের নেতা সরকারি সুবিধা নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। তাঁরা সরকারি ডাকবাংলা বা রেস্ট হাউসে থাকতে পারবেন কিন্তু কোনো রাজনৈতিক সভা করতে পারবেন না। দুই দল রাজি থাকলে ২৪ জানুয়ারির পরে নির্বাচন সম্ভব কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে সিইসি বলেন, ‘দুই পক্ষ রাজি থাকলে আলহামদুলিল্লাহ।’ পর্যাপ্ত সময় হাতে রেখেই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে বলে তিনি জানান। নির্বাচন কমিশন সচিবালয় সূত্রে গতকাল মঙ্গলবার জানা যায়, নভেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহের দিকে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হতে পারে। সে ক্ষেত্রে ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে অথবা জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ভোট গ্রহণ করা হবে।সাক্ষীদের হাজির করতে না পারায় থমকে আছে চট্টগ্রাম আদালত ভবনে জামা’আতুল মুজাহেদীন বাংলাদেশ (জেএমবি) জঙ্গিদের বোমা হামলার হত্যা মামলার বিচার। জঙ্গিদের হামলায় নিহত পুলিশ কনস্টেবলের পরিবার ও ১০ পুলিশ পঙ্গু হয়ে আজও সেই বীভৎস স্মৃতি বয়ে বেড়াচ্ছেন। আজ শুক্রবার এই বোমা হামলার আট বছর পূর্ণ হবে। মামলার নথিতে দেখা গেছে, সাক্ষীরা না আসায় বিচারক এক আদেশে উল্লেখ করেন, ‘১৮৯৮ সালের ফৌজদারি কার্যবিধির ১৭১(২) ধারা অনুযায়ী সাক্ষীদের আদালতে হাজির করার দায়িত্ব পুলিশের। সাক্ষীর অভাবে মামলা প্রমাণ করা না গেলে দায়দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তাকে বহন করতে হবে।’ বর্তমানে মামলাটি প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ জান্নাতুল ফেরদৌসের আদালতে বিচারাধীন। আট বছরে মাত্র ২৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে।মামলার নথিতে দেখা গেছে, বিচারক সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য একের পর এক দিন ধার্য করলেও সাক্ষী হাজির না হওয়ায় সাক্ষ্য গ্রহণ করতে পারছেন না। সর্বশেষ গত ৪ জুন সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য থাকলেও সাক্ষ্য গ্রহণ হয়নি। আদালত আগামী ১ ডিসেম্বর পরবর্তী দিন ধার্য করেন। এ অবস্থায় থমকে আছে মামলাটির বিচার কার্যত্রক্রম। তাই বিচারক আদেশে সাক্ষীর অভাবে মামলা প্রমাণ করা না গেলে দায় দায়িত্ব পুলিশকেই বহন করতে হবে বলে উল্লেখ করেন গত ২১ জুলাই। দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য মামলাটি প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত থেকে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হলেও ২০০৮ সালে সাক্ষীরা হাজির না হওয়ায় বর্তমান আদালতে ফেরত আসে।২০০৫ সালের ২৯ নভেম্বর সকালে চট্টগ্রাম আদালত ভবনের পুলিশ চেক পোস্টের সামনে বোমা হামলা চালায় জঙ্গিরা। ঘটনাস্থলে মারা যান পুলিশ কনস্টেবল রাজীব বড়ুয়া ও ফুটবলার শাহাবুদ্দীন। আহত হন পুলিশ কনস্টেবল আবু রায়হান, সামসুল কবির, রফিকুল ইসলাম, আবদুল মজিদসহ ১০ জন। এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করা হলে পরের বছরের ১৮ মে ডিবির পরিদর্শক হ্লা চিং প্রু জেএমবির চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমান্ডার জাবেদ ইকবাল ওরফে মোহাম্মদ ও বোমা তৈরির কারিগর জাহিদুল ইসলাম সুমনকে আসামি করে অভিযোগপত্র জমা দেন আদালতে। একই বছরের ৩ আগস্ট মামলাটির বিচার শুরু হয়। ৭৭ জন সাক্ষীর মধ্যে মাত্র ২৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। হাজির না হওয়া সাক্ষীদের অধিকাংশই পুলিশ, চিকিৎসক ও ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী। অতিরিক্ত মহানগর পিপি অশোক কুমার দাশ বলেন, সাক্ষীদের হাজির করতে বলা হলেও পুলিশ তাদের হাজির করতে পারছে না। এতে বিচার কার্যক্রম থমকে আছে।জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন জানান, বিচারক, আইনজীবী ও আদালত জঙ্গিদের টার্গেট। সুযোগ পেলে তারা ফের হামলা চালাতে পারে। তাই আদালতের নিরাপত্তা জোরদার করতে প্রশাসনকে বলা হয়েছে।১৮-দলীয় জোটের ‘গণতন্ত্রের অভিযাত্রা’ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে গত শনিবার রাত থেকে গতকাল রোববার পর্যন্ত সারা দেশে বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের প্রায় ৯০০ নেতা-কর্মীকে আটক করা হয়েছে। নাশকতায় জড়িত থাকার অভিযোগে রাজধানীসহ দেশের ১৬ জেলা থেকে যৌথ বাহিনী ও পুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়ে এঁদের আটক করে। গতকাল রাত ১০টা পর্যন্ত প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক, আঞ্চলিক কার্যালয় ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর: আমাদের আদালত প্রতিবেদক জানান, রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে যৌথ বাহিনী শনিবার রাত থেকে গতকাল সকাল পর্যন্ত ৪০৯ জনকে গ্রেপ্তার করে। এঁদের মধ্যে ২২০ জনকে ঢাকা মহানগর পুলিশ আইনে এবং ১৮৯ জনকে সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। বাকি ১৬ জনকে জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মী সন্দেহে এক দিন করে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।চট্টগ্রামে যৌথ বাহিনী শনিবার রাতে বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের ৫৭ জনকে আটক করে। এঁদের মধ্যে সাতকানিয়ায় ২৬, লোহাগাড়ায় ১৫ এবং সীতাকুণ্ডে ১৬ জন রয়েছে। কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের মরিচ্যা গ্রামের গুরামিয়ার গ্যারেজ এলাকা থেকে জামায়াত-শিবিরের পাঁচ কর্মীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। খুলনা মহানগর ও জেলা পুলিশ শনিবার গভীর রাতে অভিযান চালিয়ে বিএনপির সাতজনসহ ১৩১ জনকে গ্রেপ্তার করে। এঁদের মধ্যে ১০২ জনকে জেলা পুলিশ ও বাকি ২৯ জনকে মহানগর পুলিশ আটক করে।সাতক্ষীরার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে শনিবার রাত থেকে গতকাল বিকেল চারটা পর্যন্ত সাংবাদিকসহ ১১ জামায়াত-শিবিরের কর্মীকে গ্রেপ্তার করে যৌথ বাহিনী। যশোরে ৩০ জনকে আটক করা হয়। এঁদের মধ্যে বিএনপির তিন ও জামায়াতের ছয় নেতা-কর্মী রয়েছেন। এ নিয়ে গত পাঁচ দিনে এ জেলায় মোট ২৫০ জনকে আটক করা হলো।কিশোরগঞ্জ জেলা শহরসহ বিভিন্ন উপজেলা থেকে বিএনপির ২০ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে কিশোরগঞ্জ সদর, বাজিতপুর, হোসেনপুর, পাকুন্দিয়া, কটিয়াদী ও করিমগঞ্জ থেকে তিনজন করে এবং কুলিয়ারচরে একজন ও ভৈরব থেকে চারজন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়।নরসিংদীতে বিএনপির ৩৯ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সকাল ১০টার দিকে পুরিন্দা বাসস্ট্যান্ডে যানবাহন না পেয়ে জোটবদ্ধ হয়ে হেঁটে ঢাকা যাওয়ার পথে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।নীলফামারীতে দুবাছরি দাখিল মাদ্রাসার সুপারসহ জামায়াত-শিবিরের তিন কর্মীকে গ্রেপ্তার করে যৌথ বাহিনী। নীলফামারী সদর থানার ওসি শাহজাহান পাশা জানান, সাংসদ আসাদুজ্জামান নূরের গাড়িবহরে হামলার মামলা ও নাশকতার অভিযোগে এঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যানসহ জামায়াত-শিবিরের ১৪ জন এবং কুলাউড়ায় এক বিএনপি নেতাকে গতকাল ভোরে গ্রেপ্তার করা হয়।কুমিল্লায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে বিএনপি, জামায়াত ও ছাত্রশিবিরের ৪৩ নেতা-কর্মীকে আটক করা হয়। আটক ব্যক্তিদের মধ্যে বিএনপির ২৫ জন এবং জামায়াত-শিবিরের ১৮ জন। এ ছাড়া লাকসাম ও মনোহরগঞ্জ থেকে ১২ জনকে আটক করা হয়। এর মধ্যে লাকসামের সাত ও মনোহরগঞ্জের পাঁচজন। চাঁদপুরের বিভিন্ন স্থান থেকে পুলিশের হাতে আটক ১৬ নেতা-কর্মীর মধ্যে ১২ জন বিএনপির এবং চারজন জামায়াত-শিবিরের কর্মী। নোয়াখালীতে বিএনপি ও জামায়াতের ২৫ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গতকাল সকালে জেলা শহরে ১৮-দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের পর আশপাশের এলাকায় অভিযান চালিয়ে আরও ১২ জনকে আটক করে পুলিশ। সিরাজগঞ্জের বেলকুচি থেকে বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের ২০ নেতা-কর্মীকে আটক করা হয়। গতকাল রাত তিনটা থেকে সকাল আটটা পর্যন্ত উপজেলার কল্যাণপুর, কান্দাপাড়া ও সর্বতুলসী এলাকায় অভিযান চালিয়ে এঁদের আটক করে যৌথ বাহিনী। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন উপজেলা থেকে বিএনপির ১৪ ও জামায়াতের একজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বাগেরহাটে গাড়িতে অগ্নিসংযোগের মামলার আসামি জামায়াতের নেতা মতিউর রহমানকে (৫০) রামপাল উপজেলার উজলকুড় ইউনিয়নের সোনাতুনিয়া গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বরগুনার আমতলী উপজেলার আমড়াগাছিয়া এলাকা থেকে সকালে পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মোমেন আকনকে (২৫) আমতলী থানার পুলিশ গ্রেপ্তার করে। তিনি পুলিশের ওপর হামলার মামলার আসামি।খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার ১ নম্বর মেরুং ইউনিয়ন থেকে বেলা ১১টায় অস্ত্র ও গুলিসহ দুই যুবককে আটক করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পরে তাঁদের পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।
ঢাকার কেরানীগঞ্জ ও মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলা থেকে গতকাল শনিবার দুই গৃহবধূ ও অজ্ঞাতনামা এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।এঁদের মধ্যে কেরানীগঞ্জের আড়াকুল নয়ামাটি এলাকার বালুর মাঠে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় জোছনা বেগম ওরফে টুনির (৩৬) লাশ পাওয়া যায়। তিনি কোন্ডা ইউনিয়নের আইন্তা পশ্চিমপাড়া গ্রামের হারুন মিয়ার মেয়ে। অন্যদিকে জিঞ্জিরা ইউনিয়নের ভাগনা এলাকার একটি বাসা থেকে মৌসুমী আক্তারের (২৩) মৃতদেহ পাওয়া যায়। মৌসুমী কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার তুলাতুলী গ্রামের আবদুল খালেকের মেয়ে।সিরাজদিখানের আবিরপাড়া গ্রামের একটি ডোবায় বস্তাবন্দী অবস্থায় পাওয়া যায় অজ্ঞাতনামা এক যুবকের লাশ।গৃহবধূ জোছনার মৃত্যু হত্যাকাণ্ড বলে ধারণা করছেন দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাখাওয়াত হোসেন।আর মৌসুমী পারিবারিক কলহের জের ধরে বিষাক্ত পদার্থ পান করে আত্মহত্যা করেছেন পুলিশকেরানীগঞ্জ মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শাহজামান জানিয়েছেন। ঘটনার পর থেকে জোছনার স্বামী রনি মিয়া পলাতক।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানী এমাজউদ্দীন আহমদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়ার ফোনালাপ প্রকাশ করা শুধু অসৌজন্যমূলকই নয়, অরুচিকরও। এতে করে আশু সংলাপের যে সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল, তা কিছুটা পিছিয়ে গেল। তাঁর মতে, অতি আগ্রহী কিছু মন্ত্রীর ‘ষড়যন্ত্রে’ এ ফোনালাপ প্রকাশ পেয়েছে।তবে আন্তরিকতা থাকলে ফোনালাপের রেকর্ড ফাঁস সংলাপে বাধা হবে না বলে মনে করেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানী হারুন অর রশীদ। তবে তিনি মনে করেন রেকর্ড ফাঁস বর্তমান পরিস্থিতিকে ঘোলাটে করেছে।ফোনালাপ প্রকাশের পর সংলাপের সম্ভাবনা ক্ষীণ হয়ে এসেছে কি না, প্রথম আলো ডটকমের এমন প্রশ্নের জবাবে এমাজউদ্দীন আহমদ বলেন, কিছু অতি উত্সাহী লোক প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধীদলীয় নেত্রীকে ঘিরে থাকেন। তাঁরা নিজেদের স্বার্থ ছাড়া আর কিছুই বোঝেন না। এঁদের ভাবমূর্তি জাতির কাছে কী, সে সম্পর্কে এঁরা জানেন না। দুই নেত্রী ‘পাবলিক ইস্যু’তে ‘প্রাইভেটলি’ কথা বলেছেন। তাঁরা বেশ কিছু বিষয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছেন, এটি কোনোভাবেই প্রকাশ করা উচিত হয়নি। পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে দেওয়া ঠিক হবে না।তবে এই রাষ্ট্রবিজ্ঞানী বলেছেন, তিনি এখনো আশাবাদী। তাঁর মতে, বাংলাদেশ অনেক এগিয়েছে। এই অগ্রগতি ধরে রাখতে হবে। অন্য কোনো দেশের সঙ্গে বিরোধ হলে যুদ্ধের আশঙ্কা ছিল। কিন্তু এ ঘটনা দেশের ভেতর ঘটছে। শীর্ষ নেতাদের বিষয়টি বুঝতে হবে। তাঁরাই সমস্যার সমাধান করবেন। রাজনৈতিক নেতাদের কাছে অসম্ভব বলে কিছু নেই। এমাজউদ্দীন আহমদ বলেছেন, ১৯৩৭ সাল থেকে নির্বাচন-প্রক্রিয়া শুরু হয়। নির্বাচনের ইতিহাস এখানে মাত্র ৭০ বছরের। কিছু ভুল হতে পারে। কিন্তু যেকোনো উপায়ে করা নির্বাচন দেশের ভেতরে-বাইরে গ্রহণযোগ্য হতে হবে। একতরফা নির্বাচন হলে তার কোনো গ্রহণযোগ্যতা থাকবে না।অন্যদিকে হারুন অর রশীদ প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, দুই নেত্রীর ফোনালাপ ফাঁসে পরিস্থিতি ঘোলাটে হয়েছে। এটি অনাকাঙ্ক্ষিত। সমস্যা থেকে উত্তরণে আন্তরিকতা থাকলে এটি বড় ধরনের বাধা হয়ে দাঁড়াবে না। তিনি মনে করেন, ফোনালাপ ফাঁসের পরও শীর্ষ রাজনৈতিক নেতারা, বিশেষ করে দুই প্রধান নেত্রী সংলাপে বসে উদ্ভূত রাজনৈতিক সংকট নিরসন করে শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের উদ্যোগ নেবেন। এর মাধ্যমে তাঁরা নতুন সরকার গঠনের প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নেবেন।তবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এই উপাচার্য শেখ হাসিনার সরকারের পদত্যাগের দাবির সমালোচনা করেছেন। প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, ‘ক্ষমতাসীন সরকার কেন পদত্যাগ করবে, কেন রাজি হবে? বিরোধীদলীয় নেতা যদি প্রধানমন্ত্রীর জায়গায় থাকতেন তিনি কি পদত্যাগ করতেন?’হারুন অর রশীদের মতে, ১৯৯৬-এর চেয়ে ২০১৩-এর সার্বিক অবস্থা ভিন্ন। এ সরকারের আমলে ভোটারবিহীন মধ্য ফেব্রুয়ারির মতো কোনো নির্বাচন হয়েছে? প্রধান বিরোধী দল প্রতিটি নির্বাচনে অংশ নিয়েছে, জয়লাভ করেছে। ব্যালটের মাধ্যমে জনগণের যে অভিলাষ তা প্রমাণের সুযোগ দেওয়া দরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনেক ছাড় দিয়েছেন। বর্তমান মন্ত্রিসভা ভেঙে দিয়ে ছোট একটি মন্ত্রিসভা করার কথা তিনি বলতে পারতেন। তা না বলে তিনি সর্বদলীয় সরকার গঠনের প্রস্তাব দিয়েছেন।হজরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রায় দেড় কোটি টাকা সমমূল্যের ভারতীয় মুদ্রাসহ এক পাকিস্তানি নাগরিককে আটক করেছে শুল্ক কর্তৃপক্ষ। গতকাল বৃহস্পতিবার ভোরে ইতিহাদ এয়ারলাইনসের একটি বিমানে আরব আমিরাতের আবুধাবি থেকে ঢাকায় নামার পর ইমতিয়াজ আলম নামের ওই পাকিস্তানিকে আটক করা হয়।যানবাহন না পেয়ে গুরুতর অসুস্থ বৃদ্ধ মাবিয়া বেগমকে চিকিৎসার জন্য রিকশাভ্যানে করেই হাসপাতালে আনছিলেন স্বজনেরা। পথে তিনটি স্থানে পুলিশ ও যুবকদের তল্লাশির পর তাঁকে নিয়ে তাঁরা যখন জাতীয় হূদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে পৌঁছালেন, ততক্ষণে তিনি চলে গেছেন সব চিকিৎসার ঊর্ধ্বে, না ফেরার দেশে।মাবিয়া বেগমের স্বজনদের অভিযোগ, তল্লাশির নামে পুলিশ ও যুবকেরা অহেতুক অনেক সময়ক্ষেপণ করায় মাবিয়া হাসপাতালে পৌঁছার আগেই মারা গেছেন।বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮-দলীয় জোটের ‘গণতন্ত্রের অভিযাত্রা’ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে গতকাল সাভারের আমিনবাজার ও রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে তল্লাশির নামে বাড়াবাড়ির অভিযোগ উঠেছে পুলিশ ও লাঠিসোঁটা হাতে পাহারা বসানো যুবকদের বিরুদ্ধে।মাবিয়া বেগমের ছেলে মোহাম্মদ আলী বলেন, রাজধানীর উপকণ্ঠ সাভারের কাউন্দিয়া ইউনিয়নের নয়াবাজারের নিজ বাড়িতে গতকাল সকাল আটটার দিকে তাঁর মা অসুস্থ হয়ে পড়েন। দ্রুত তাঁকে নৌকায় করে তুরাগ সেতুর গাবতলী প্রান্তে নেওয়া হয়। সেখানে কোনো যানবাহন না পেয়ে সকাল নয়টার দিকে বহু কষ্টে একটি রিকশাভ্যান জোগাড় করে তাতে মাকে উঠিয়ে শেরেবাংলা নগরে হূদরোগ হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা দেন। তিনি অভিযোগ করেন, প্রথমে পুলিশ তাঁদের ভ্যানটি গাবতলী বাস টার্মিনালের উল্টো দিকে থামিয়ে তল্লাশি করে। এতে বেশ কিছুটা সময় নষ্ট হয়। এরপর মাজার রোডে লাঠিসোঁটা হাতে থাকা যুবকেরা ভ্যান আটকে তল্লাশি করেন। সর্বশেষ কল্যাণপুরে প্রায় ১৫ মিনিট তল্লাশি করেন লাঠিসোঁটা হাতে থাকা যুবকেরা। অনেক অনুনয় করার পর ভ্যানটি ছাড়া হয়। এভাবে সময়ক্ষেপণের পর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তাঁরা হূদরোগ হাসপাতালে পৌঁছান। কিন্তু সেখানে চিকিৎসকেরা জানান, তাঁর মাকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে।কান্নাজড়িত কণ্ঠে মোহাম্মদ আলী বলেন, দারুস সালামে টেকনিক্যাল মোড়ে পৌঁছার পর ছটফট করতে করতে মা তাঁকে বাঁচানোর আকুতি জানান। কিন্তু তিনি পারলেন না। তিনি বলেন, যানবাহন পেলে এবং পথে পথে তল্লাশিতে সময় নষ্ট না হলে মাকে হয়তো বাঁচানো যেত।রিকশাভ্যানটির চালক সেন্টু মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, সর্বশেষ কল্যাণপুরে আটকে তল্লাশি চালানোর পর রোগীকে শুধু ভ্যানে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। ভ্যানে থাকা অন্যদের হেঁটে যেতে বলা হয়। ফলে ভ্যানও দ্রুত চলতে পারেননি।স্বজনেরা জানান, বিকেলে জানাজা শেষে মাবিয়া বেগমের লাশ কাউন্দিয়ার নিকিবাড়ি কবরস্থানে দাফন করা হয়। তিনি পাঁচ সন্তানের জননী ছিলেন।জানতে চাইলে দারুস সালাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম রাতে বলেন, পুলিশ রোগী বহনকারী ভ্যানে তল্লাশি করেনি। তবে অন্য যানবাহনে তল্লাশির কারণে সৃষ্ট যানজটে হয়তো ভ্যানটি আটকে থেকে সময় নষ্ট হয়েছে। লাঠিসোঁটা হাতে যুবকদের তল্লাশির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি।
গাজীপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মো. বিল্লাল হোসেনের ওপর গতকাল শনিবার রাতে হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলার অভিযোগে টঙ্গী থানা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. কামরুল হাসান ওরফে বাবলু ও তাঁর দুই সহযোগীকে আটক করেছেন র‌্যাব-১-এর সদস্যরা।এর আগে ১৭ সেপ্টেম্বর টঙ্গীর উত্তর আরিচপুর এলাকার বাড়িতে ভাঙচুর, প্রাণনাশের হুমকি ও চাঁদা দাবির অভিযোগে কামরুলের বিরুদ্ধে টঙ্গী মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছিলেন বিল্লাল।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গতকাল রাত আটটায় স্টেশন রোডে টঙ্গী থানা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে বিল্লালের ওপর হামলা চালান কামরুল ও তাঁর সহযোগীরা। খবর পেয়ে পুলিশ ও বিল্লালের আত্মীয়স্বজন এগিয়ে এলে আবার হামলা চালানোর হুমকি দিয়ে কামরুল চলে যান।হামলার বিষয়টি র‌্যাব সদস্যদের জানান বিল্লাল। রাত ১০টায় র‌্যাব-১-এর একটি টহল দল স্টেশন রোডে কামরুলের গাড়ি থামিয়ে দুই সহযোগীসহ তাঁকে আটক করে নিয়ে যায়। র‌্যাব-১ ও টঙ্গী মডেল থানার পুলিশ তিনজনকে আটকের সত্যতা নিশ্চিত করেছে।আগামীকাল বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠেয় নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচের টিকিট না পেয়ে মিরপুরের ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকে (ইউসিবিএল) ভাঙচুর চালিয়েছে উত্তেজিত জনতা। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ফাঁকা গুলি ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়েছে পুলিশ। টিকিটপ্রত্যাশীরা আশপাশের গলিতে ঢুকে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। বেলা তিনটায় শুরু হওয়া এ সংঘর্ষ চলে সোয়া তিনটা পর্যন্ত। সংঘর্ষ চলাকালে মিরপুর ১০ নম্বর গোলচত্বর এলাকায় যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় আশপাশের ভবনগুলোতেও ইটের আঘাত লাগে।ব্যাংকের ম্যানেজার শাখার প্রধান অমলেন্দু রায় প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, ‘আজ সকাল নয়টা থেকে টিকিট বিক্রি শুরু হয়। লাইনে দাঁড়ানো প্রত্যেককে একটি করে টিকিট দেওয়া হয়েছে। মোট তিন হাজার ৮১৪টি টিকিট আমাদের এ শাখায় দেওয়া হয়। তিনটার সময় যখন ঘোষণা দেওয়া হয় যে টিকিট বিক্রি শেষ হয়েছে, তখন বাইরে থাকা লোকজন মারমুখী হয়ে ওঠেন। তাঁরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে।’ তিনি বলেন, ‘টিকিট মাত্র তিন হাজার ৮১৪টি। আর সকাল থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে আছে ১০ থেকে ১২ হাজার লোক। এত লোককে আমরা কীভাবে টিকিট দেব।’বিক্ষুব্ধ জনতার দাবি, যতগুলো টিকিট ছিল তা দেওয়া হয়নি। টিকিট সরিয়ে রাখা হয়েছে।বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম আকবর খোন্দকারকে গতকাল বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ১৮-দলীয় জোটের ডাকা অবরোধ কর্মসূচির সমর্থনে নাসিমন ভবন এলাকায় মিছিল করার সময় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অবরোধের সমর্থনে গতকাল সকালে নাসিমন ভবন চত্বর থেকে গোলাম আকবরের নেতৃত্বে মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি কাজীর দেউড়ি মোড় অতিক্রম করে আবার নাসিমন ভবনের দিকে চলে যাওয়ার সময় পুলিশ দুই দিক থেকে ঘেরাও করে সাতজনকে গ্রেপ্তার করে।এদিকে চট্টগ্রামে গত বুধবার ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, পুলিশের ওপর হামলা ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার দুই যাত্রীকে অগ্নিদগ্ধ করার অভিযোগে বিএনপির কয়েক শ নেতা-কর্মীকে আসামি করে গতকাল পাঁচটি মামলা হয়েছে।পুলিশ সূত্র জানায়, বুধবার অটোরিকশার দুই যাত্রীর অগ্নিদগ্ধের ঘটনায় চট্টগ্রাম নগর বিএনপির সভাপতি আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সাবেক প্রতিমন্ত্রী মীর মোহাম্মদ নাছিরউদ্দিন, গোলাম আকবর খোন্দকার, নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেনসহ ১৮-দলীয় জোটের নেতা-কর্মীদের আসামি করে চকবাজার থানায় একটি মামলা করেন উপপরিদর্শক (এসআই) শিবেন বিশ্বাস।এ ছাড়া নগরের বিভিন্ন থানায় আরও চারটি মামলা হয়েছে।ভোটের রাজনী-তিতে মনিরামপুরে জামায়াতে ইসলামী কখনোই তেমন শক্তিশালী ছিল না। অথচ এখন উপজেলাজুড়ে জামায়াত-শিবির তাণ্ডব চালাচ্ছে। আসন্ন নির্বাচন সামনে রেখে একসময় আওয়ামী লীগের দুর্গ বলে পরিচিত মনিরামপুরে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এবং আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত স্বতন্ত্র প্রার্থী কেউই ঠিকমতো নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে পারছেন না। আওয়ামী লীগের এ দুর্গ এখন জামায়াতের নিয়ন্ত্রণে। ক্ষেত্রবিশেষে জামায়াতের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে বিএনপিও।গতকাল রোববারও উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় কয়েকটি নাশকতার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল দুপুরে উপজেলার হাজরাইল গ্রামে একটি নির্বাচনী সভায় ভাষণ দিচ্ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংসদ খান টিপু সুলতানের বড় ছেলে হুমায়ুন সুলতান। এ সময় মুখে কালো কাপড় বাঁধা ১০-১২ জন লোক ওই সভায় হামলা চালায়। তারা হুমায়ুন সুলতানের প্রাইভেট কারটি পেট্রল ঢেলে পুড়িয়ে দেয়। তিনটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে ও আট-দশটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়। এ ঘটনার জন্য হুমায়ুন বিএনপি ও জামায়াতকে দায়ী করেছেন। গতকাল সকালে নৌকা প্রতীকের পোস্টার লাগানোর সময় জামায়াতের কর্মীদের হামলায় আওয়ামী লীগের চারজন কর্মী আহত হয়েছেন। এ ছাড়া আগের দিন শনিবার গভীর রাতে পাঁচ-সাতটি পিকআপ ভ্যানে করে একদল দুর্বৃত্ত উপজেলার চাঁদপুর-মাঝিয়ালী নতুন বাজার ও গরীবপুর এলাকার তিনটি গ্রামে ধ্বংসযজ্ঞ চালায়। এ সময় চাঁদপুর বাজারের নয়টি বাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে আগুন দেওয়া হয়। জামায়াতে ইসলামীর অব্যাহত নাশকতায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে। এ জন্য আওয়ামী লীগ দুষছে পুলিশ প্রশাসনকে। অন্যদিকে পুলিশ বলছে, উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য খোদ আওয়ামী লীগই দায়ী। তাদের উপদলীয় কোন্দলের সুযোগ নিচ্ছে জামায়াত এবং ক্ষেত্রবিশেষে জামায়াতের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে বিএনপি। আওয়ামী লীগের বিবদমান দুটি পক্ষই অবশ্য দলীয় কোন্দলের বিষয়টি স্বীকার করেছে।দুটি উপদলে বিভক্ত মনিরামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের একটি ধারার নেতৃত্বে আছেন সাংসদ খান টিপু সুলতান। অন্য ধারাটি চলছে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান স্বপন ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে। এবার আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন টিপু সুলতান। দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে ১৫ ডিসেম্বর উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্যপদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে স্বতন্ত্র প্রার্থী স্বপন ভট্টাচার্যকে। যশোর-৫ (মনিরামপুর) আসনের সাংসদ খান টিপু সুলতান প্রথম আলোকে বলেন, উপজেলার ভোজগাতী ইউনিয়নের চারটি গ্রামে জামায়াত-শিবিরের বরাবরই শক্তিশালী অবস্থান ছিল। ফলে পাশের চালকিডাঙ্গা ও বেগারীতলায় তারা সহিংস কর্মকাণ্ড চালায়। তিনি বলেন, জামায়াত-শিবিরের বিরাট কোনো শক্তি এখানে নেই। প্রশাসনের ছত্রচ্ছায়া এবং সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও একজন সচিবের আনুকূল্যে জামায়াত-শিবির ও বিএনপির কর্মীরা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের হত্যা ও মারধর করছে, তাঁদের বাড়িঘর পুড়িয়ে দিচ্ছে ও লুটপাট করছে। তা ছাড়া সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান স্বপন ভট্টাচার্যের সঙ্গে বিএনপি-জামায়াতসমর্থিত ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের বৈষয়িক সম্পর্ক তৈরি হওয়ার ফলে তাঁরা গত কয়েক বছরে ফুলে-ফেঁপে উঠেছেন। স্বপন ভট্টাচার্য এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বলেন, ‘আমি একটি দল করি। আমার দলীয় আদর্শ বিসর্জন দিয়ে আমি কখনো জামায়াত-বিএনপির সঙ্গে সম্পর্ক রাখব না।’ তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াতের অনেক নেতা উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের কারও কারও আত্মীয়। স্বয়ং সাংসদের ষড়যন্ত্রের কারণে মনিরামপুর পৌরসভায় আওয়ামী লীগ-সমর্থিত মেয়র প্রার্থী পরাজিত হন। একই কারণে ইউনিয়ন পরিষদগুলোর নির্বাচনেও পরাজিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ-সমর্থিত প্রার্থীরা। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী মাহমুদুল হাসান অকপটে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তিনি জানান, আওয়ামী লীগের একটি পক্ষের মদদে একাধিক বাহিনী সাধারণ মানুষের ওপর অত্যাচার চালিয়েছে, চাঁদাবাজি করেছে। অপর পক্ষ সংক্ষুব্ধ হয়ে জামায়াত-বিএনপিকে আশকারা দিয়েছে। তিনি বলেন, মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু হওয়ার পর মনিরামপুরে জামায়াত-শিবির সহিংস হয়ে উঠতে থাকে। পর্যায়ক্রমে জামায়াত-শিবির সাংগঠনিকভাবে সশস্ত্র অবস্থায় গিয়ে পৌঁছেছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এ আসনে ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালে জামায়াত এককভাবে নির্বাচন করেছিল এবং তাদের প্রার্থী হাবিবুর রহমান প্রথমবার ২৮ হাজার এবং দ্বিতীয়বার ৩৩ হাজার ভোট পেয়েছিলেন। বর্তমানে এখানে ভোটার দুই লাখ ৮৬ হাজার ৪৯৬। এর মধ্যে ৫০ হাজারের মতো হিন্দু ভোটার রয়েছে। এ আসনের সাবেক সাংসদ পীযূষ ভট্টাচার্য বলেন, সত্তরের নির্বাচন থেকে সর্বশেষ ২০০৮ সাল পর্যন্ত এ আসনটিতে বেশির ভাগ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অবস্থান ছিল অপ্রতিরোধ্য। পীযূষ ভট্টাচার্যের মতে, বারবার এ আসন থেকে নির্বাচিত সাংসদ টিপু সুলতান জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ার কারণেই বর্তমান পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। দলের ভেতরে কোন্দল সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহমুদুল হাসান আত্মসমালোচনা করে বলেন, ‘আগে দলে পরস্পরবিরোধী চারটি পক্ষ ছিল, কিন্তু কোনো কোন্দল ছিল না। এখন কোন্দল আছে। তবে দলীয়ভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমাদের ব্যর্থতার দায় যতটা, তার চেয়ে বেশি দায় পুলিশের।’ তাঁর মতে, পুলিশ সুপারের সিদ্ধান্তহীনতার কারণেই মনিরামপুরে এতটা প্রতিকূল পরিস্থিতি হয়েছে।যশোরের পুলিশ সুপার জয়দেব ভদ্র তাঁর কিংবা পুলিশের কোনো ব্যর্থতা নেই বলে দাবি করেন। তিনি বলেন, বর্তমানে মনিরামপুরে সবচেয়ে বেশি পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। কিন্তু প্রতিরোধ গড়ে তোলার ন্যূনতম কোনো উদ্যোগ সরকারি দলের মধ্যে নেই। সহিংসতার বিষয়ে জানতে উপজেলার জামায়াত-শিবিরের নেতাদের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও কাউকেই পাওয়া যায়নি।তবে যোগাযোগ করা হলে যশোর জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির নূর-ই-আল মামুন প্রথম আলোকে বলেন, সাম্প্রতিক সহিংস ঘটনাগুলোতে মনিরামপুরে জামায়াতের চার-পাঁচজন কর্মী খুন হয়েছেন। কিন্তু জামায়াতের হাতে কেউ খুন হননি, তাঁরা কারও বাড়িঘরও ভাঙচুর করেননি।
ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে বক্তব্য দেওয়ার এক দিন পর তা অস্বীকার করেছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। তিনি দাবি করেন, গত বৃহস্পতিবার জাতীয় যুব সংহতির মতবিনিময় সভায় কোনো রাজনৈতিক দলকে ‘ধিক্কৃত’ দল বলেননি এবং আওয়ামী লীগ ৬০ আসন পাবে—এমন কথাও বলেননি।গতকাল শনিবার এরশাদের গণমাধ্যম ও রাজনৈতিক সচিব সুনীল শুভ রায়ের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি করা হয়। এতে দাবি করা হয়, এরশাদ বলেছিলেন, আওয়ামী লীগ ৪০ শতাংশ ভোট পেয়েও একবার ৬০টির মতো আসন পেয়েছিল। অথচ আনুপাতিক ভোটের ভিত্তিতে সংসদ সদস্য নির্বাচনের পদ্ধতি প্রবর্তন করা হলে প্রতিটি ভোটের মূল্য থাকবে। সেবার ৪০ শতাংশ ভোট পাওয়ায় ওই পদ্ধতিতে আওয়ামী লীগের আসনসংখ্যা দাঁড়াত ১২০।প্রকৃতপক্ষে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা কথাগুলো বৃহস্পতিবারের সভায় এরশাদ বলেননি। তাঁর ওই বক্তব্য প্রথম আলোর কাছে ধারণ করা আছে। এরশাদ ওই বক্তৃতায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির কড়া সমালোচনা করেন। একপর্যায়ে দলের নেতা-কর্মীদের প্রশ্ন করেন, এই মুহূর্তে সবচেয়ে জনপ্রিয় দল কোনটি? কর্মীরা জবাব দেন, ‘জাতীয় পার্টি।’ এরপর প্রশ্ন করেন, এই মুহূর্তে জনগণের কাছে সবচেয়ে ধিক্কৃত দল কোনটি? কর্মীরা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ।’কর্মীদের এই জবাবের পর এরশাদ বলেন, ‘আমি নামটি বলতে চাই না। আগে ৪০ পার্সেন্ট ভোট পেলেও এবার তারা ২০ পার্সেন্ট পাবে। আসন পাবে ৬০টি। আমাদের আসন এর চেয়ে অনেক বাড়বে।’ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিতাস গ্যাসক্ষেত্রের ২০ নম্বর কূপের গ্যাস আজ বুধবার থেকে জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ শুরু হয়েছে।নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর সকাল সাড়ে নয়টা থেকে উত্তোলন করা ৮০ লাখ (৮ মিলিয়ন) ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ শুরু হয়। ২২ অক্টোবর এ কূপের খননকাজ শেষ হয়েছিল।সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, পর্যায়ক্রমে এই কূপের গ্যাস উত্পাদন আরও বাড়ানো হবে। এ কূপ থেকে প্রতিদিন দুই কোটি (২০ মিলিয়ন) ঘনফুট গ্যাস উত্তোলনের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছিল। শহরের ঘাটুরা এলাকায় তিতাস নদীর তীরে চলতি বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রীয় তেল-গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলন কোম্পানি (বাপেক্স) এ কূপের খননকাজ শুরু করে।২০ নম্বর কূপের প্রকল্প পরিচালক আহাম্মদ হোসেন প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, ১৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে কূপটি খনন করা হয়। এ কূপের আট মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যোগ হয়েছে। এর ফলে আজ থেকেই জাতীয় গ্রিডে বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি মোট ৭৮৩ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করছে।চট্টগ্রাম উত্তর জেলা শিবিরের সভাপতি কুতুব উদ্দিনকে গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা আড়াইটার দিকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব ও পুলিশ।সীতাকুণ্ডের মাদাম বিবিরহাট এলাকায় কুতুব উদ্দিনের বাড়িতে র‌্যাব ও পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করে। একই সঙ্গে তাঁর ভাই ছাত্রলীগের সাবেক কর্মী আরাফাত হোসেনসহ আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বেলা আড়াইটার দিকে র‌্যাব-৭-এর একটি দল ও পুলিশ যৌথভাবে অভিযান চালায়। এ সময় বাড়িতেই ছিলেন কুতুব উদ্দিন। পরে তাঁকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এস এম বদিউজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, কুতুব উদ্দিনের বিরুদ্ধে হরতালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে গাড়িতে আগুন, ভাঙচুরসহ বিভিন্ন নাশকতার অভিযোগে ২৮টির মতো মামলা রয়েছে।শিবিরের নেতা গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মো. আবু তাহের।এদিকে কুতুব উদ্দিনকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে গতকাল বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে ছলিমপুর ইউনিয়ন জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা বানুর বাজার এলাকায় বিদ্যুতের পরিত্যক্ত খুঁটি এলোপাতাড়িভাবে রেখে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে শিবিরের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। শিবিরের কর্মীদের ইটপাটকেলের আঘাতে পুলিশের সার্জেন্ট মো. কবির ও উপপরিদর্শক জাহাঙ্গীর আহত হন। এদিকে পুলিশের রাবার বুলেটে শিবিরের কর্মী মোরশেদ, মান্নান, আকবর, রাশেদ, রাকিব আহত হন।যশোরের চৌগাছা উপজেলার সাদিপুর ও স্বরূপদহ গ্রামের কৃষকেরা প্রতি কেজি শিম বিক্রি করেছেন ৭৫ পয়সায়। আড়তদারের কাছে আট মণ শিম বিক্রি করে পাওয়া যায় ৮০ টাকা। আর এই শিম নিতে ভ্যানের ভাড়াই দিতে হয় ৭০ টাকা। এই হচ্ছে কৃষকের দুরবস্থার একটা খণ্ডিত চিত্র।শীত মৌসুমের যে সবজি এবার হয়েছে, কৃষক তার দামই পাননি। বছরের শেষ ভাগে এসে অবরোধ-হরতাল ও সহিংস রাজনীতির দুর্বিপাকে শিল্প যা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তার চেয়ে বেশি কৃষি ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে মনে করা হচ্ছে। কৃষির যে ক্ষতি, তা পুষিয়ে নেওয়ার সুযোগ নেই।২০২১ সালে মধ্যম আয়ের দেশে পৌঁছার যে যাত্রা শুরু হয়েছিল, বিদায়ী বছরে সে পথ আরও দূরে সরে গেছে। অথচ সহস্রাব্দের উন্নয়ন লক্ষ্যের বেশ কিছু সূচকে পৌঁছে গিয়েছিল সাফল্য। এখন সেখান থেকেও পিছু হটে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।স্বাধীনতার পর ৪৩ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে সহিংস রাজনৈতিক আন্দোলন, নৃশংসতা ও ধ্বংসযজ্ঞের মুখোমুখি এখন দেশের অর্থনীতি। অর্থনীতির ওপর এমন সরাসরি আঘাত আগে আর কখনো আসেনি। তামাশার একতরফা নির্বাচন ও তার পরবর্তী রাজনৈতিক পরিস্থিতি অর্থনীতির জন্য কোনো সুখবর নিয়ে আসছে না।অর্থনীতির প্রতিটি খাতই বিপদের মধ্যে। দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ উদ্যোক্তার গলার ফাঁসে পরিণত হয়েছে। বিনিয়োগহীন অর্থের পাহাড় জমে গেছে ব্যাংকে। প্রবাসী-আয় কমছে, বাড়ছে খেলাপি ঋণ। বড় ধরনের সংকটে পড়েছে পর্যটনশিল্প। রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ীদের সংগঠন রিহ্যাব প্রথমবারের মতো শীতকালীন মেলা স্থগিত করে দিয়েছে। ঢাকার বিভিন্ন স্থানে খুব ভোরে ভিড় করে যেসব দিনমজুর কাজের অপেক্ষায় থাকেন, তাঁদের আয় নেই।ব্যবসা-বাণিজ্য, কৃষি, শিল্প, বিনিয়োগের এই অবস্থায় মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি কমবে। গ্রামীণ অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে দারিদ্র্য বাড়বে। ফলে মাথাপিছু আয় ও মানব সূচকে উন্নতি করে ইতিমধ্যে মধ্যম আয়ের পথে যে অগ্রগতি হয়েছিল, তা থেকে পিছু হটতে শুরু করবে দেশ।ব্যবসায়ীরা বলছেন, সংঘাত-সহিংসতা আরও দীর্ঘায়িত হলে বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশি পণ্যের ক্রেতারা অন্যত্র সরে যাবে। আর সেটা হলে অর্থনীতির প্রতিটি খাতই দীর্ঘ মেয়াদে বড় ক্ষতির মধ্যে ঢুকে পড়বে।অর্থনীতির অগ্রগতি: বিগত দুই দশক, বিশেষত নব্বই-পরবর্তী সময়ে অর্থনীতিতে অনেক স্বস্তিদায়ক অর্জন রয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ, আন্তর্জাতিক মন্দা পরিস্থিতি, পোশাক খাতের কোটা উঠে যাওয়া, ইউরোপে জিএসপির উৎসবিধি বা রুলস অব অরিজিনে পরিবর্তনের কারণে দেশের রপ্তানি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা ছিল। কিন্তু সব ক্ষেত্রে উদ্যোক্তারা যোগ্যতার সঙ্গে উতরে নেন দেশকে।দুই দশকে জিডিপির প্রবৃদ্ধি বিশ্লেষণে দেখা যায়, ১৯৯২-৯৩ থেকে ১৯৯৫-৯৬ সময়ে প্রবৃদ্ধির হার ৫ শতাংশের মধ্যে ছিল। মাঝে বন্যা ও অস্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে প্রবৃদ্ধি কমে যায়। এর পর থেকে কিছুটা ওঠানামা থাকলেও প্রবৃদ্ধির গতি ৫ থেকে ছাড়িয়ে ৬, পৌনে ৭ শতাংশ পর্যন্ত ওঠে। এবার আবার তার বড় পতন হবে বলে পূর্বাভাস মিলছে। বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ প্রথম আলোকে বলেন, বিগত প্রায় দুই দশকের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বড় ঝুঁকির মুখে পড়ছে কি না, সেটাই ২০১৩ সালের শেষে এসে বড় প্রশ্ন হিসেবে দেখা দিয়েছে। আমাদের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় অনেক ত্রুটি-বিচ্যুতি আছে; দুর্নীতি, দলীয়করণ ও স্বেচ্ছাচারিতা অর্থনৈতিক সুশাসনকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। তা সত্ত্বেও প্রতিটি নির্বাচিত সরকারকে মেয়াদান্তে সুষ্ঠু প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচনের সম্মুখীন হতে হয়েছে। দুর্নীতি ও অপশাসনের একটা অলিখিত সীমারেখা অতিক্রম করার কারণে জনগণ প্রতিবার ক্ষমতাসীন সরকারকে প্রত্যাখ্যান করেছে। জনপ্রতিনিধিরা নিজেদের এলাকায় উন্নয়ন প্রকল্পের বরাদ্দ থেকে নিজেরা অন্যায় সুযোগ-সুবিধা নিয়েছেন সত্য; কিন্তু নির্বাচন সামনে রেখে কিছুটা হলেও জনকল্যাণের তাগিদ অনুভব করেছেন।অধ্যাপক মাহমুদ আরও বলেন, গত দুই দশকে আমাদের অভিজ্ঞতা হলো, অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য অন্ততপক্ষে একটা চলনসই গণতন্ত্র হয়তো হলেই চলে। কিন্তু, সুষ্ঠু প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচনের মাধ্যমে জবাবদিহির ন্যূনতম ব্যবস্থা অবশ্যই থাকতে হবে। এবার বর্ষ শেষে এটিই জাতির সামনে বড় চ্যালেঞ্জ, অর্থনীতি ও রাজনীতি দুই ক্ষেত্রেই। প্রবৃদ্ধি: ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে পৌঁছাতে হলে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ৮ শতাংশ করতে হবে ২০১৪-১৫ অর্থবছরে। এখন পর্যন্ত ৭ শতাংশেও উন্নীত হতে পারেনি প্রবৃদ্ধি। কয়েক বছর ধরে তা ৬ থেকে সাড়ে ৬-এর সীমায় ঘুরপাক খাচ্ছে। রাজনৈতিক সংঘাত শুরুর আগেই আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) এবার প্রবৃদ্ধি সাড়ে ৫ শতাংশ হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক তাদের আসন্ন মুদ্রানীতিতে প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ৭ থেকে ৬ শতাংশ হতে পারে, এমন তথ্য দিতে যাচ্ছে। তবে এসব পূর্বাভাস আসছে সেপ্টেম্বর-অক্টোবরভিত্তিক তথ্য-উপাত্ত ধরে। এর পরে রাজনৈতিক সংকটে ব্যবসা-বাণিজ্য, কৃষিতে যে ক্ষতি, তা হিসাবে নেওয়া হয়নি। অর্থনীতির বিশ্লেষকেরা মনে করেন, কাঙ্ক্ষিত প্রবৃদ্ধি যদি না থাকে, তাহলে উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান কোনোটাই করা যাবে না। তাতে মাথাপিছু আয় এক হাজার ৪৪ ডলার বৃদ্ধি এবং মানব উন্নয়নের কোনো সূচকে যে অগ্রগতি, তা ধরে রাখা সম্ভব নয়।বৈদেশিক বাণিজ্য: সর্বশেষ নভেম্বর পর্যন্ত পাঁচ মাসে রপ্তানি আয়ে ১৮ শতাংশের উচ্চ প্রবৃদ্ধির সুখকর তথ্য মিলেছে। কিন্তু গোটা ডিসেম্বর মাসই ছিল হরতাল ও অবরোধ। ব্যবসায়ীরা বলছেন, এ মাসেই তাঁদের সবচেয়ে বড় ক্ষতি হয়েছে, যার তথ্য পেতে আরও অন্তত এক মাস অপেক্ষা করতে হবে।সিংহভাগ রপ্তানি পণ্য পোশাক খাত রানা প্লাজা ও তাজরীনের দুর্ঘটনার পর বিশ্বব্যাপী বড় চাপের মধ্যে পড়েছিল। বাংলাদেশ থেকে কয়েকটি বড় বিদেশি ক্রেতা প্রতিষ্ঠান সমসাময়িককালে মুখ ঘুরিয়ে নেয়। বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ইতিমধ্যে ওয়ালমার্ট, জেসিপেনি, ইন্ডিটেক্স, সিয়ার্সের মতো বড় ক্রেতারা তাদের ক্রয়াদেশ ২০ শতাংশের মতো কমিয়ে দিয়েছে। এগুলোর কাজ চলে যাচ্ছে ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও আফ্রিকার কয়েকটি দেশে। অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, দেশের গণতান্ত্রিক শাসনের সঙ্গে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের নিবিড়তা আছে। যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে জিএসপি-সুবিধা পুনর্বহালের বিষয়টি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন তাদের বাজারে আমাদের তৈরি পোশাক রপ্তানির শুল্কমুক্ত সুবিধা অব্যাহত রাখার বিষয়টি বিবেচনা করে দেখছে। এই মুহূর্তে আমাদের দরকার শক্তিশালী অর্থনৈতিক কূটনীতি। কিন্তু শক্ত গণতান্ত্রিক সরকার ছাড়া তা সম্ভব নয়। বিনিয়োগ: গ্যাস-বিদ্যুৎ ও অবকাঠামোর অভাবে বিনিয়োগে দীর্ঘদিনের মন্দা রয়েছে। গত বছর বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ কম থাকলেও সরকার বিনিয়োগ বাড়িয়ে দেয়। এবার সরকারের বিনিয়োগও কম। বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ মন্দায় ব্যাংকগুলোতে সেপ্টেম্বর শেষে উদ্বৃত্ত তারল্য প্রায় সাড়ে ৯৮ হাজার কোটি টাকায় পৌঁছেছে। একই সময়ে শিল্পে বিতরণ করা মেয়াদি ঋণ গত বছরের তুলনায় কমেছে। বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস্ অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) সভাপতি জাহাঙ্গীর আলামিন বস্ত্র খাতে এ বছর দুই হাজার ২০০ কোটি টাকা বিনিয়োগের তথ্য দিয়ে বলেন, ‘নতুন যাঁরা বিনিয়োগে এলেন, তাঁদের কী হবে? তাঁরা কীভাবে বিনিয়োগের ফল ঘরে তুলবেন। ব্যাংকের টাকাই বা কীভাবে পরিশোধ করবেন? পুরো বিনিয়োগটাই তো ঝুঁকির মধ্যে চলে গেল।’
গাজীপুরের টঙ্গীতে গত শুক্রবার দিবাগত রাতে ট্রাকচালকের এক সহকারীকে কুপিয়ে ছিনতাই করে পালানোর সময় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন টঙ্গীর দত্তপাড়া এলাকার ফারুক (২২), ইয়াছিন (২১) ও বাবু (১৯)। তাঁদের মধ্যে ফারুক চিহ্নিত ছিনতাইকারী বলে পুলিশ জানিয়েছে। ইয়াছিন রাজধানীর তেজগাঁওয়ে অবস্থিত ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। বাবু এ বছর এসএসসি পাস করে কলেজে ভর্তি হওয়ার চেষ্টা করছে। আহত ট্রাকচালকের সহকারী মো. ইসহাককে (৪৫) টঙ্গী সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তিনজনের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনে মামলার পর গতকাল তাঁদের জেলহাজতে পাঠানো হয়।  টঙ্গী (গাজীপুর) প্রতিনিধিপাবনা শহরের কাচারিপাড়া সাহারা ক্লাব মোড়ে গেদা বাবু (৩৮) নামের যুবলীগের এক কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। আজ বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।জেলা যুবলীগের দপ্তর সম্পাদক ফাহিমুল কবীর প্রথম আলো ডটকমকে জানান, গেদা বাবু সদর থানা যুবলীগের সদস্য ছিলেন। দলীয় কোনো কারণে নয়, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের দ্বন্দ্বে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে তিনি দাবি করেন। তাঁর বাড়ি শহরের মণ্ডলপাড়ায়।পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, গেদা বাবুর বন্ধুরা আজ একটি মামলায় হাজিরা দিতে আদালতে যান। এ সময় তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে গেদা বাবু আদালত প্রাঙ্গণে যান। দুপুরে ফেরার পথে পাবনা শহরের কাচারিপাড়া সাহার ক্লাব মোড়ে দুর্বৃত্তরা তাঁকে কুপিয়ে জখম করে। স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিত্সক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী হানিফুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।ভাইয়ের জন্য ভাইয়ের জীবন বিসর্জন দেওয়ার অনেক উদাহরণ আছে। ভাইয়ের দুঃখে ভাইয়ের মন কাঁদে। ভাইকে জীবনে প্রতিষ্ঠিত করতে ভাইয়ের আত্মত্যাগের দৃষ্টান্তও ভূরিভূরি। শচীন টেন্ডুলকারের ক্রিকেটজীবন সোনায় মুড়িয়ে দিতে বড় ভাই অজিত টেন্ডুলকার কী না করেছেন তাঁর জীবনে!এলিটা কিংসলেকে অত বড় আত্মত্যাগ করতে হয়নি। শুধু ছোট ভাইকে ঢাকায় এনে একটা দলে ঢুকিয়ে দিয়েছেন। দলটার নাম মুক্তিযোদ্ধা। আর তাঁরা নাইজেরিয়ান ফুটবলার। ছোট ভাই এলিটা বেঞ্জামিন জুনিয়র খেলেন রক্ষণে, কিংসলে স্ট্রাইকার। দুই ভাইয়ের গল্পটা জানতেই কাল বিকেলে মুক্তিযোদ্ধার অনুশীলনে যাওয়া। জানা গেল ভাই-অন্তঃপ্রাণ ভাইয়ের অজানা কথা।সেটি বলার আগে জানানো যাক, এলিটারা চার ভাই, তিন বোন। বড় দুই ভাই এলিটা পলিনস ও এলিটা এলিয়ট নাইজেরিয়ায় পেশাদার ফুটবল খেলেন। তাঁরা কেউ নাইজেরিয়ার বাইরে খেলতে যাননি। ছোট দুজনই এলেন প্রথম বাংলাদেশে। তাঁদের বাবাও একসময় ফুটবল খেলতেন, তবে পেশাদার নয়।১২ বছর আগে পরকালে পাড়ি জমিয়েছেন বাবা বেঞ্জামিন। তাঁর সাত সন্তানের মধ্যে সবার ছোট হওয়ায় পারিবারিক নাম এলিটার সঙ্গে বাবার নাম বেঞ্জামিন জুড়ে দেওয়া। তবে জুনিয়র নামেই নিজেকে বেশি পরিচিত করতে চান ছোটজন।বড়জন কিংসলের প্রথম ঢাকা আসা ২০১১ সালে, প্রথম দল আরামবাগ। গত বছর ছিলেন বিজেএমসি, এবার মুক্তিযোদ্ধায়। ছোট ভাই বেঞ্জামিন জুনিয়রকে গত বছরই ঢাকায় আনেন তাঁর চেয়ে চার বছরের বড় কিংসলে। ভাইকে দেন মুক্তিযোদ্ধায়। এবার ভাইয়ের সঙ্গে একই ক্লাবে খেলার ইচ্ছে পূরণ করেছেন কিংসলে। আবাহনীসহ আরও কয়েকটি বড় দলের প্রস্তাবে সাড়া না দিয়ে শুধু ভাইয়ের জন্যই এলেন মুক্তিযোদ্ধায়।দুই ভাই থাকেন উত্তরায় একই ফ্ল্যাটে। সময় কাটানো, খাওয়া, ঘুমও একসঙ্গে। যদিও দুই ভাই থাকেন দুই কক্ষে। বাসায় নিজেরাই রান্না করেন, নাইজেরিয়ান খাবারই বেশি। রান্নার দায়িত্বটা ছোট ভাইয়ের কাঁধে। ভালো রান্নার প্রশংসা, সঙ্গে ফুটবলার হিসেবে ছোট ভাইয়ের প্রশংসায় পঞ্চমুখ কিংসলে, ‘সে খুবই ভালো ডিফেন্ডার।’ ছোট ভাইকে বাংলাদেশে আনার কারণটাও বললেন, ‘আমি ভেবেছি ও এ দেশে খুবই ভালো করবে। তাই নিয়ে এলাম।’দুই ভাইয়ের মধ্যে সবচেয়ে বড় মিল, দুজনই অবসরে ল্যাপটপ নিয়ে থাকেন। গান শোনেন, ফুটবল ম্যাচ, সিনেমা দেখেন। কেন দুই ভাইয়ের একসঙ্গে এক দলে খেলার ইচ্ছে জাগল? কিংসলের উত্তর, ‘ও রক্ষণে থাকলে আমি জানি দল গোল কম খাবে। ও ডিফেন্ডার হিসেবে খুবই ভালো। তাই আমি চেয়েছি ওকে নিয়ে একই দলে খেলতে।’এই স্বপ্নটা ছোট ভাই বেঞ্জামিন জুনিয়রও দেখতেন, ‘ভাইয়ের সঙ্গে একই ক্লাবে খেলব সব সময়ই এটা ভাবতাম আমি। একসঙ্গে খেললে অনেক সুবিধা। কিংসলে ভালো স্ট্রাইকার। একসঙ্গে অনুশীলন করি, কখনো এই দূরদেশে একা অনুভব করি না।’দুই ভাইয়ের মধ্যে অমিলও আছে। দুজন দুই রকম। মুক্তিযোদ্ধার কোচ শফিকুল ইসলামের চোখে, ‘কিংসলে হয়তো বিরিয়ানি খেতে চাইল, জুনিয়র চাইল ভাত। ছোটজন একটু বেশি পরিশ্রমী, কিংসলে অতটা নয়।’ভাই বলেই দুজনের এক রকম হতে হবে, তেমন তো কথা নেই!রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যেও অনুষ্ঠিত জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষায় নতুন মাইলফলক তৈরি হয়েছে। পরীক্ষার মোট নম্বরের সঙ্গে চতুর্থ বিষয়ের নম্বর যোগ হওয়ায় জিপিএ-৫ গেলবারের তুলনায় প্রায় সাড়ে তিন গুণ বেড়েছে। একাধিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানেরা বিশ্লেষণ করে দেখেছেন, এবার ভালো ফলের মূল কারণ প্রথমবারের মতো চতুর্থ বিষয় যোগ হওয়া। বিষয়টি ছিল ঐচ্ছিক, কিন্তু ভালো ফলের জন্য এটা ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এবার জেএসসি ও জেডিসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছে এক লাখ ৭২ হাজার ২০৮ পরীক্ষার্থী। অথচ গতবার এ দুই পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৪৬ হাজার ৯৪২ জন। এবার চতুর্থ বিষয় হিসেবে যোগ হয়েছে গার্হস্থ্য অর্থনীতি ও কৃষিশিক্ষা। নিয়ম হলো চতুর্থ বিষয়ে ৪০-এর ওপরে যে নম্বর পাওয়া যায়, তা পরীক্ষার মোট নম্বরের সঙ্গে যোগ হয়। অর্থাৎ কেউ যদি চতুর্থ বিষয়ে ৬০ পায়, তাহলে তার মোট প্রাপ্ত নম্বরের সঙ্গে ২০ যোগ হবে। জিপিএ-৫ পাওয়ার অর্থ সব বিষয়ে কমপক্ষে ৮০ পাওয়া। একটি বিষয়ে কম নম্বর পেলেই ফসকে যায় সেরা মেধাবী হওয়ার গৌরব। একটি বা দুটি বিষয়ে ৮০ নম্বরের কম পাওয়া পরীক্ষার্থীরা এবার চতুর্থ বিষয়ের সুবিধা নিয়ে জিপিএ-৫ পেয়েছে।ভালো ফলের কারণ জানতে চাইলে সিলেট মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন বলেন, তাঁর বোর্ডে গতবার জিপিএ-৫ পেয়েছিল মাত্র এক হাজার ৩৬৪ জন। আর এবার তা বেড়ে হয়েছে পাঁচ হাজার ৭৪৮ জন। এর বড় কারণ হলো চতুর্থ বিষয়।একই ধরনের মত দিয়ে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান তাসলিমা বেগম ও রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান তাসবিরুল হক। রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মঞ্জু আরা বেগম বলেন, প্রতিযোগিতা বাড়ার পাশাপাশি চতুর্থ বিষয় যোগ হওয়াতেই ভালো ফল হয়েছে। ফলাফলের দিক দিয়ে এবার ঢাকা বোর্ডে সেরা হয়েছে ভিকারুননিসা নূন স্কুল।গত এইচএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশের সময় শিক্ষামন্ত্রী বলেছিলেন বিরোধী দলের হরতালের কারণে ফল খারাপ হয়েছে। কিন্তু এবার আরও খারাপ রাজনৈতিক পরিস্থিতির মধ্যে পরীক্ষা হলেও ফল ভালো হয়েছে। এ প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, চতুর্থ বিষয় যোগ হওয়ায় সব ক্ষেত্রেই ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে।কঠিন বিষয়ে আগের চেয়ে ভালো ফল: শিক্ষা বোর্ডের বিষয়ভিত্তিক ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, আগের চেয়ে এবার ইংরেজি ও গণিত বিষয়ে ভালো করেছে শিক্ষার্থীরা। এবার ঢাকা বোর্ডে ইংরেজিতে পাসের হার ৯১ দশমিক ৬৭ শতাংশ। গতবার ছিল ৮৮ দশমিক ৬২ শতাংশ। রাজশাহীতে এবার ইংরেজিতে পাসের হার ৯৪ দশমিক ৩৮ শতাংশ, গতবার ছিল ৮৬ দশমিক ৬২ শতাংশ। অধিকাংশ বোর্ডে ইংরেজিতে পাসের হার বাড়লেও কুমিল্লা ও সিলেটে ইংরেজি পাসের হার সামান্য কমেছে।গণিত বিষয়েও আগের বছরের চেয়ে তুলনামূলক ভালো ফল হয়েছে। এবার সব বোর্ডেই গণিতে পাসের হার ৯০-এর ওপরে। এ দুটি বিষয় শিক্ষার্থীদের কাছে কঠিন বিষয় হিসেবে বিবেচিত। জিপিএ-৫ বাড়ছে: গত চারটি পরীক্ষার ফল তুলনামূলক বিশ্লেষণে দেখা যায়, প্রথমবারের পরীক্ষার চেয়ে এবার পর্যন্ত জিপিএ-৫ বেড়েছে ২০ গুণেরও বেশি। ২০১০ সালে প্রথমবার যখন জেএসসি পরীক্ষা শুরু হয়েছিল, তখন জিপিএ-৫ পেয়েছিল আট হাজার ৫৫৬ জন। পরের বছর পায় ৩০ হাজার ৮৫২ জন। ২০১২ সালে জেএসসি ও জেডিসিতে জিপিএ-৫ পায় ৪৬ হাজার ৯৪২ জন। আর এবার এ দুই পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে এক লাখ ৭২ হাজার ২০৮ জন।কমেছে অনুপস্থিতি ও অনুত্তীর্ণের সংখ্যা: ২০১০ সালে জেএসসিতে অনুপস্থিত ছিল এক লাখ ১৩ হাজার ২৪৮ জন শিক্ষার্থী। এবার জেএসসি ও জেডিসি মিলে অনুপস্থিত ছিল ৩৯ হাজার ৬০১ জন। পাসের হার বাড়ার কারণে অনুত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীর সংখ্যাও কমে আসছে। ২০১০ সালে জেএসসিতে পাসের হার ছিল ৭৩ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ। পরের বছর জেএসসি-জেডিসি মিলে হয় ৮৩ দশমিক ৭১ শতাংশ, গত বছর ছিল ৮৬ দশমিক ৯৭ শতাংশ। এবার পাসের হার প্রায় ৩ শতাংশ বেড়েছে।
দিনাজপুরের ৩২টি রুটে গতকাল শনিবার দুপুর ১২টা থেকে বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন পরিবহনশ্রমিকেরা। সৈয়দপুরে এক মোটরশ্রমিককে মারধরের অভিযোগে এই ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়। এদিকে পরিবহনে চাঁদাবাজি বন্ধ করা ও মহাসড়কে নির্বিঘ্নে যাত্রীবাহী বাস চলাচলের দাবিতে গতকাল থেকে নীলফামারীর সৈয়দপুরে দূরপাল্লার বাস ধর্মঘট চলছে।দিনাজপুর জেলা মোটর পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. রফিক জানান, গতকাল সকাল নয়টার দিকে নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরের প্রবেশমুখে পুলিশ সুপারের গাড়িকে সাইড না দেওয়ায় তাঁর এক দেহরক্ষী জাহেদা পরিবহনের সহযোগী (হেলপার) এনামুল হককে বেধড়ক মারধর করেন। প্রতিবাদে মোটর পরিবহনশ্রমিকেরা দুপুর ১২টা থেকে বাস ও মাইক্রোবাস চলাচল বন্ধ করে দেন। শ্রমিকনেতারা জানান, দোষী পুলিশ সদস্যের অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত এই ধর্মঘট অব্যাহত থাকবে।পুলিশ সুপার সারোয়ার মুর্শেদ শামীম প্রথম আলোকে বলেন, সকালে তিনি ডিআইজির কার্যালয়ে এক সভায় যোগ দিতে রংপুর যাচ্ছিলেন। পথে সৈয়দপুর শহরে প্রবেশের আগে মহাসড়কে দাঁড়িয়ে থেকে বাসগুলো যাত্রী তুলছিল। বারবার হর্ন দিলেও তারা সাইড দিচ্ছিল না। পরে ওই বাসের নম্বর লিখে পুলিশ সার্জেন্টকে জানিয়ে কোনো রকমে গাড়ি নিয়ে ওই স্থান থেকে বেরিয়ে আসেন তিনি। তবে এ সময় কোনো বাসশ্রমিককে মারধরের ঘটনা ঘটেনি।প্রত্যক্ষদর্শী একাধিক বাসযাত্রী জানান, পুলিশ সুপারের গাড়ি চলে যাওয়ার পর জাহেদা পরিবহনের বাসটি সৈয়দপুর শহরে ঢুকলে পুলিশ সার্জেন্ট বাসটিকে থানায় নিয়ে যান। এতে ওই বাসের চালকসহ শ্রমিকেরা ক্ষুব্ধ হয়ে সৈয়দপুরে মোটরশ্রমিকদের নিয়ে সড়ক অবরোধের চেষ্টা করেন। কিন্তু সৈয়দপুরের মোটরমালিক-শ্রমিকেরা তাতে সাড়া দেননি। এদিকে শ্রমিকদের শান্ত করতে বাসটিকে ছেড়ে দেওয়া হয়। পরে বাসটি দিনাজপুরে ফিরে এসে শ্রমিকদের সংগঠিত করে। এরপর দিনাজপুর মোটর পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নিয়ে জেলার সব রুটে বাস চলাচল বন্ধ করে দেন।এদিকে নীলফামারী জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতি ও শ্রমিক ইউনিয়ন যৌথভাবে ধর্মঘট ডেকেছে। আজ রোববার থেকে ঢাকাসহ অন্যান্য জনপদের দূরপাল্লার বাস চলাচলে বাধা দেওয়া হবে বলে স্থানীয় মালিক ও শ্রমিকেরা জানিয়েছেন।সৈয়দপুরের ইকু পরিবহনের মালিক সিদ্দিকুল আলম জানান, তাঁর একটি বাস দীর্ঘ তিন বছর ধরে পঞ্চগড়-সৈয়দপুর হয়ে বগুড়া পথে চলাচল করছে। অথচ পঞ্চগড় মালিক সমিতির পক্ষ থেকে ওই বাস চলাচলে বাধা দেওয়া হচ্ছে। মালিক সমিতি বলেছে, ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দেওয়া না হলে ইকু পরিবহন পঞ্চগড়ে ঢুকবে না।অপরদিকে সৈয়দপুরের নাদের পরিবহনের মালিক শাহনেওয়াজ শানু জানান, তাঁর মালিকাধীন নাদের পরিবহনের একাধিক বাস ঢাকাসহ দূরপাল্লার বিভিন্ন পথে চলাচল করে। টাঙ্গাইল বাস মালিক সমিতি তাঁদের দুটি বাস গত শুক্রবার টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে আটকে রাখে। কারণ, টাঙ্গাইলের বাসমালিকেরা নীলফামারী জেলায় আঞ্চলিক সড়কগুলোতে তাঁদের বাস চালানোর সুযোগ চান।নীলফামারী জেলা বাস-মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আলতাফ হোসেন বলেন, ‘চাঁদাবাজি বন্ধ ও কথায় কথায় সৈয়দপুরের মালিকদের বাস মহাসড়কে অবরোধ করে রাখার প্রতিবাদে আমরা ধর্মঘটে যাচ্ছি। প্রতিবাদ হিসেবে টাঙ্গাইল ও পঞ্চগড়ের তিনটি বাস আমরাও আটকে রেখেছি। বিষয়টি নীলফামারী জেলা প্রশাসককে অবহিত করা হয়েছে। আজকের (শনিবার) মধ্যে সংকট নিরসন না হলে রোববার (আজ) সৈয়দপুর থেকে কোনো দূরপাল্লার চলবে না।’নীলফামারীর জেলা প্রশাসক এস এম মাহফুজুল হক জানান, ‘ঘটনাটি আমরা জেনেছি। বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।’তিন বাহিনীর পদমর্যাদায় সমতা আনার দাবি জানিয়েছে বিমানবাহিনী। এ ছাড়া প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের গুরুত্বপূর্ণ পদে বিমানবাহিনীর কর্মকর্তাদের নিয়োগ দেওয়ার কথাও বলেছে তারা।আজ বুধবার ঘাঁটি বাশারে আয়োজিত দরবার অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে বিমানবাহিনীর কর্মকর্তারা এসব দাবি তোলেন।বিমানবাহিনীর একজন কর্মকর্তা প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, তিন বাহিনীর মধ্যে সমতা আনা প্রয়োজন।তিন বাহিনীর প্রধানের মধ্যে কেবলমাত্র সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল পদমর্যাদার এবং নৌ ও বিমানবাহিনীর প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেলের সমান পদমর্যাদার। পদমর্যাদায় সমতার দাবি তোলার পাশাপাশি বিমানবাহিনীর কর্মকর্তারা ‘উচ্চ উড্ডয়ন’ ঝুঁকিভাতা, প্রতিরক্ষা সার্ভিস ভাতা ও অবসর প্রস্তুতিমূলক ছুটি ছয় মাস থেকে এক বছর করার দাবি করেছেন। বিমানবাহিনীর কর্মকর্তারা বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে স্বতন্ত্র ‘এয়ার রেজিমেন্ট’ গঠন ও সিলেটে একটি বিমানঘাঁটি স্থাপনে উদ্যোগ নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন।জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রসিকতা করে বলেন, ‘যেখানে যাই সবাই খালি ভাতা বাড়ানোর কথা বলে, বেতন বাড়ানোর কথা কেউ বলে না।’ তিনি বলেন, তাঁর সরকার বিমানবাহিনীর উন্নয়নে সাধ্যমতো কাজ করেছে। আবার ক্ষমতায় এলে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষা করা হবে। তিনি বিমানবাহিনীকে যেকোনো হুমকি মোকাবিলায় সব সময় প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। শেখ হাসিনা বিমানবাহিনীর সদস্যদের ঊর্ধ্বতন নেতাদের প্রতি আস্থা, পারস্পরিক বিশ্বাস ও সহমর্মিতা নিয়ে কাজ করার আহ্বান জানান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর চীন থেকে ১৬টি যুদ্ধবিমান, রাশিয়া থেকে তিনটি হেলিকপ্টার কিনেছে। এ ছাড়া ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপণযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র, পরিবহন বিমান কেনা হয়েছে। আরও ৩৬টি বিমান ও সাতটি কপ্টার কেনার প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। এ ছাড়া ডুবো যুদ্ধজাহাজ কেনার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে।ঘাঁটি বাশারে আয়োজিত দরবারে বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার ভাইস মার্শাল ইনামুল বারী, প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিক, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার আবু বেলাল মো. শফিউল হকসহ বিমানবাহিনীর প্রায় পাঁচ হাজার সদস্য উপস্থিত ছিলেন।দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশই প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকির মধ্যে সবচেয়ে বেশি রয়েছে। এসব দুর্যোগ মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতির সঙ্গে দরকার সচেতনতা। আর্থিক সহায়তার পাশাপাশি দুর্যোগের সময় মনস্তাত্ত্বিক সহায়তারও প্রয়োজন রয়েছে।দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা বিষয়ে চট্টগ্রামে এক মিডিয়া ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠানে এসব তথ্য উপস্থাপন করা হয়। আন্তর্জাতিক সংস্থা কনসার্ন ইউনিভার্সেলের সহযোগিতায় ইউনাইট থিয়েটার ফর সোশ্যাল অ্যাকশন নামের একটি বেসরকারি সংগঠন এ ক্যাম্পেইনের আয়োজন করে। মুদ্রণ ও সম্প্রচার মাধ্যমের সাংবাদিকেরা এতে অংশ নেন। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কনসার্ন ইউনিভার্সেলের সহকারী প্রকল্প ব্যবস্থাপক মাসুদ রানা। তিনি জানান, সম্ভাব্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকি মোকাবিলায় কয়েকটি প্রকল্প নিয়ে তাঁরা কাজ করবেন।‘দেশের সেবা করতে গিয়ে এই ছিল ভাগ্যে? মানুষ তো নিজের শত্রুকেও এভাবে মারে না। এখন আমার বোনরে আমি কী জবাব দেব? বাচ্চাগুলো কাকে বাবা বলে ডাকবে?’ছোট বোনের স্বামী আবুল কাশেমের মৃতদেহ দেখার পর এভাবেই বিলাপ করছিলেন কামরুল ইসলাম। কমলাপুর রেলস্টেশনে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালনের সময় গতকাল রোববার বোমা হামলায় মারা যান রেলওয়ে নিরাপত্তা প্রহরী (আরএনবি) আবুল কাশেম। হামলায় তাঁর মুখমণ্ডলের পুরো অংশ উড়ে গেছে। কাশেমের বাড়ি গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার উজানি গ্রামে। বোমা হামলার পর ঘটনাস্থল থেকে হামলাকারী দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে রেলওয়ে থানার পুলিশ।প্রত্যক্ষদর্শী নিরাপত্তা প্রহরী ও রেলওয়ে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সকাল আটটা থেকে কমলাপুর রেলস্টেশন ইয়ার্ডের ১৭ নম্বর বিটের কাছে দায়িত্ব পালন করছিলেন আবুল কাশেম (৩০)। বেলা আড়াইটা থেকে পৌনে তিনটার দিকে দুই যুবক প্ল্যাটফর্মের দিকে আসছিলেন। তাঁদের একজনের হাতে একটি শপিং ব্যাগ দেখে আবুল কাশেমের সন্দেহ হয়। পরে তা দেখতে চাইলে ব্যাগে থাকা বোমা বের করে কাশেমের মুখে ছুড়ে মারা হয়। এতে ঘটনাস্থলেই কাশেম নিহত হন।পাশেই দায়িত্ব পালনরত নিরাপত্তা প্রহরী মনি শংকর প্রথম আলোকে বলেন, ‘দুই যুবকের একজনের কাছে থাকা শপিং ব্যাগে কী আছে জানতে চাইলে সঙ্গে সঙ্গে একজন কাশেম ভাইকে বোমা ছুড়ে মারে। এরপর হামলাকারীদের পিছু ছুটে তাদের ধরতে সক্ষম হই।’বোমা হামলার পর রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক নিহত আবুল কাশেমের লাশ দেখতে আসেন। তিনি জানান, আবুল কাশেমের পরিবারকে এক লাখ টাকা দেওয়া হচ্ছে।রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর প্রধান পরিদর্শক মজিবুর রহমান বলেন, ‘হামলাকারীরা হয়তো স্টেশনে ঢুকে বড় ধরনের নাশকতার পরিকল্পনা করছিল। কিন্তু কাশেম তা হতে দেননি। জীবন দিয়ে রেলের নাশকতা ঠেকিয়ে দিয়েছেন।’আবুল কাশেম ২০০৪ সালে এইচএসসি পাস করে বাংলাদেশ রেলওয়ের নিরাপত্তা বাহিনীতে নিরাপত্তারক্ষী হিসেবে যোগ দেন। আবুল কাশেমের স্ত্রী বুলবুল রিয়ার বড় ভাই কামরুল ইসলাম জানান, আবুল কাশেমের দুই মেয়ে ও এক ছেলে। ছেলের বয়স মাত্র দু-তিন মাস। বড় মেয়ে প্রথম শ্রেণীতে পড়ে আর ছোট মেয়ের বয়স দুই বছর। তাঁর পরিবার গ্রামেই থাকে। তিনি গোপীবাগ ব্যারাকে থাকতেন।রেলওয়ে থানার কমলাপুর পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল মজিদ জানান, আটক হামলাকারীদের মধ্যে একজনের নাম আমিনুল, অন্যজন আলম। তাঁরাও বোমার আঘাতে আহত হয়েছেন।কাশেমের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সন্ধ্যায় তাঁর লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে আজ সোমবার কমলাপুর রেলস্টেশনে তাঁর জানাজা হবে। পরে লাশ গ্রামের বাড়িতে পাঠানো হবে।
শিশুরা দেখে, শুনে, পড়ে এবং অন্যান্য উপায়ে পাঠ্যসহ নানান বিষয় শেখে। অনেক শিক্ষাবিদ মনে করেন, শিশুদের শেখার ধরনের পার্থক্যের ওপর ভিত্তি করে পড়ানোর ধরনেও পার্থক্য থাকা উচিত। আবার অনেক মনস্তত্ত্ববিদ এ ব্যাপারে দ্বিমত পোষণ করে বলেন, শেখার ভিন্ন ভিন্ন ধরন শ্রেণীকক্ষে শিশুদের ওপর তেমন কোনো প্রভাব ফেলে না। কিন্তু ব্যাপারটা আসলে কী?নতুন গবেষণার ভিত্তিতে পশ্চিমা মনস্তত্ত্ববিদেরা বলছেন, প্রতিটি শিশুর শেখার ধরনের পার্থক্য থাকার বিষয়টি খুব গুরুত্বপূর্ণ বলে প্রচলিত ধারণার পক্ষে জোরালো প্রমাণের অভাব রয়েছে।মনস্তত্ত্ববিদেরা শিশুর শেখার ধরনের পার্থক্যের ওপর অন্তত ৭১টি ভিন্ন অনুকল্প তৈরি করেছেন। অনেক শিক্ষক, অভিভাবক ও ছাত্রছাত্রীর দৃঢ় বিশ্বাস, জোরে জোরে পড়ার মাধ্যমে সেই শব্দ শুনে শুনে সবচেয়ে ভালো শেখা যায়। আবার অনেক শিক্ষাবিদ পরামর্শ দেন, যে শিশু যেভাবে শিখতে অভ্যস্ত, তাকে সেভাবেই শেখানো উচিত। যেমন: অনেক শিশু জোরে জোরে না পড়েও ভালো শিখতে পারে। আবার কেউ কেউ মানচিত্র বা প্রতীকের মতো উপকরণের সহায়তায় তাড়াতাড়ি শিখে নিতে পারে। গবেষকদের একাংশ মনে করেন, শিশুদের ধাপে ধাপে কোনো বিষয় শেখানোর পদ্ধতিটি সবচেয়ে বেশি ফলপ্রসূ হয়ে থাকে।যুক্তরাষ্ট্রের কেস ওয়েস্টার্ন রিজার্ভ ইউনিভার্সিটির গবেষক ডেভিড কোব বলেন, শিশুর নিজস্ব ব্যক্তিত্ব তাকে অন্য শিক্ষার্থীদের চেয়ে আলাদা অবস্থানে নিয়ে যায়। আর সেই ব্যক্তিত্বের ভিত্তিতেই তারা মূর্ত ও বিমূর্ত বিষয়গুলো স্বতন্ত্র উপায়ে শিখে নেয়।যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনের শিক্ষা বিভাগের অধ্যাপক ফ্র্যাংক কফিল্ড শিশুদের শেখার ধরনের ১৩টি নমুনা পদ্ধতির কথা বলেছেন। ২০০৪ সালে তাঁর ওই গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। আর মার্কিন গবেষক কেন গিবসন ২০০২ সালে দাবি করেন, কম্পিউটারনির্ভর স্লাইড শোর মতো দৃশ্যমান (ভিজ্যুয়াল) পদ্ধতির ব্যবহার শিশুদের শেখানোর ক্ষেত্রে সবচেয়ে কার্যকর সাফল্য এনে দিতে পারে।যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া ইউনিভার্সিটির বিশেষজ্ঞ ড্যানিয়েল উইলিংহ্যাম মনে করেন, গিবসনের মতামত বা শিশুদের শেখার ধরনের পার্থক্যের ধারণাটি যথেষ্ট যুক্তিসংগত নয়। দুটি শিশুর সামর্থ্য সমান হলেও তারা শেখার ক্ষেত্রে ভিন্নরকম দক্ষতা দেখাতে পারে। যেমন: একটি শিশু ঝুঁকি নিতে আগ্রহী এবং অপরটি রক্ষণশীল চরিত্রের হলে শেখার ক্ষেত্রে তারা ভিন্ন ভিন্ন ফলাফল অর্জন করতে পারে, যদিও তাদের সামর্থ্য একই।যুক্তরাষ্ট্রের সান ডিয়েগোতে অবস্থিত ক্যালিফোর্নিয়া ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক হ্যারল্ড প্যাশলার ও তাঁর সহযোগীরা বিস্তর গবেষণা চালিয়েও তেমন জোরালো যুক্তি-প্রমাণ খুঁজে পাননি। সায়েন্টিফিক আমেরিকান।টানা তিন দিন ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় লেনদেন চললেও আজ বুধবার আবারও দরপতনের ধারায় দেশের শেয়ারবাজার। শুরুতে বাজার কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী থাকলেও এখন নিম্নমুখী প্রবণতা বিরাজ করছে ঢাকার শেয়ারবাজারে। দুপুর সাড়ে ১২টায় লেনদেনের দুই ঘণ্টা শেষে ডিএসইতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। এর ফলে সূচকও কমেছে।ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে জানা যায়, দুপুর সাড়ে ১২টায় ডিএসইর ডিএসইএক্স সূচক ৫০ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৩,৯৩৮ পয়েন্টে। এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় ডিএসইতে লেনদেন শুরু হয়। বেলা ১১টা ৫৫ মিনিটে সূচক ৩২ পয়েন্ট বেড়ে যায়। এরপর সূচক বাড়ার হার কমতে শুরু করে। দুপুর ১২টার পর থেকে সূচক নিম্নমুখী প্রবণতায় যায়, যা এখনো অব্যাহত রয়েছে।এই সময়ে ডিএসইতে ২৬০ কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে। হাতবদল হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে ১৩৩টির দাম কমেছে; বেড়েছে ৯৭টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম।আলোচ্য সময়ে ডিএসইতে লেনদেনে শীর্ষে থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে জেনারেশন নেক্সট ফ্যাশন, বিএসসিসিএল, ইউসিবিএল, সামিট পূর্বাঞ্চল পাওয়ার কোম্পানি, মালেক স্পিনিং, বেক্সিমকো, ইউনাইটেড এয়ার, আরগন ডেনিমস, এনভয় টেক্সটাইল, তাকাফুল ইনস্যুরেন্স প্রভৃতি।যুক্তরাষ্ট্রের পর চীনের ঘোষিত ‘বিমান প্রতিরক্ষা অঞ্চলের’ আকাশসীমায় টহল দিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের সামরিক বিমান। দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান কর্তৃপক্ষ বিষয়টি স্বীকার করেছে।এদিকে দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের বিমান টহলের পর ওই অঞ্চলে চীন যুদ্ধবিমান ও আগাম সতর্কবার্তা প্রেরণকারী উড়োজাহাজ পাঠিয়েছে। দেশটির গণমাধ্যম গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে এ খবর জানিয়েছে।চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ) এয়ারফোর্সের মুখপাত্র শেন জিনকের উদ্ধৃতি উল্লেখ করে দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সিনহুয়া বলেছে, ‘প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থার অধীন ও অভিন্ন আন্তর্জাতিক নিয়মনীতির সঙ্গে সংগতি রেখে’ গতকাল চীনা যুদ্ধবিমান সাধারণ তল্লাশি কার্যক্রম চালিয়েছে।চীন গত শনিবার পূর্ব চীন সাগরে বিরোধপূর্ণ সেনকাকু বা দিয়াওউ দ্বীপপুঞ্জ নিয়ে বিমান প্রতিরক্ষা অঞ্চল প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেয়। চীনের ঘোষিত অঞ্চল দিয়ে কোনো বিমান যেতে হলে অবশ্যই নিয়ম মানতে হবে। চীনকে অবশ্যই জানাতে হবে বিমানটি কোন দেশের, কেন ওই এলাকায় যাচ্ছে এবং দ্বিমুখী বেতার যোগাযোগ রাখতে হবে। মোট কথা, চীন কর্তৃপক্ষের চাওয়া সব তথ্য দিতে বাধ্য থাকবে। কোনো বিমান এটা করতে অস্বীকৃতি জানালে ‘জরুরি প্রতিরক্ষাব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে’। যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান ওই নীতি লঙ্ঘন করলেও চীনের পক্ষ থেকে জরুরি প্রতিরক্ষাব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে কিছু বলা হয়নি।সেনকাকু দ্বীপপুঞ্জ বর্তমানে জাপানের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তাই চীনের ওই ঘোষণার পর ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানায় জাপান। পূর্ব চীন সাগরে সমুদ্রসীমা নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়াসহ আরও কয়েকটি দেশের সঙ্গে বিরোধ রয়েছে চীনের। তাই চীনের ঘোষণা ওই সব দেশকেও ক্ষুব্ধ করেছে। সার্বিক পরিস্থিতিতে ওই এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে।জাপানের পররাষ্ট্রবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ইয়োশিহাইড সুগা গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, জাপানের নৌবাহিনীর জাহাজ ও টহল বিমান পূর্ব চীন সাগরে টহল দিয়েছে। রয়টার্স, বিবিসি ও এএফপি।ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের গাজীপুর সদর উপজেলার সালনা এলাকায় গতকাল রোববার সকালে অটোরিকশা ও বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে মা-ছেলেসহ চারজন নিহত হয়েছেন। একই দিন নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলায় ট্রাকের চাপায় এক অটোরিকশার যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে।নিহত ব্যক্তিরা হলেন ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার বালিপাড়া এলাকার হাবিবুর রহমানের স্ত্রী জোসনা বেগম (২৮), ছেলে রাফিজ (৫), একই উপজেলার হাঁপানিয়াপাড়া এলাকার সাইফুল ইসলামের ছেলে মো. উজ্জ্বল মিয়া (৩৫) ও অটোরিকশার চালক একই জেলার গফরগাঁওয়ের বিরই গ্রামের সামছুল হকের ছেলে শরিফুল ইসলাম (২৫)। নারায়ণগঞ্জে নিহত ব্যক্তির নাম মিজানুর রহমান (৩০)।পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার বালিপাড়া এলাকার মাছ ব্যবসায়ী মো. হাবিবুর রহমান স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে কয়েক দিন আগে গাজীপুরের টঙ্গীর পাগাড় এলাকায় শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে আসেন। গতকাল সকালে একটি অটোরিকশা নিয়ে বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন। তাঁর সঙ্গে এলাকার অন্য এক যাত্রীও ওঠেন।সকাল নয়টার দিকে গাজীপুর সদর উপজেলার সালনা এলাকায় বিপরীতমুখী একটি যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে অটোরিকশাটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে অটোরিকশাটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই জোসনা বেগম, ছেলে রাফিজ এবং উজ্জ্বল মিয়া নিহত হন। গুরুতর আহত অবস্থায় হাবিবুর রহমান ও অটোরিকশার চালক শরিফুল ইসলামকে গাজীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ সময় শরিফুলের মৃত্যু হয়। পরে হাবিবুর রহমানকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।রূপগঞ্জে ট্রাকের চাপায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার যাত্রী মিজানুর রহমান নিহত হন। তিনি উপজেলার চরপাড়া এলাকার অন্তু খলিফার ছেলে। এ ঘটনায় আরও তিনজন আহত হন।পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানান, সকাল ১০টার দিকে মদনপুর-ভুলতা-জয়দেবপুর সড়কের কাঞ্চন পৌরসভার চাঁন টেক্সটাইল এলাকায় দ্রুতগামী একটি ট্রাক ওই অটোরিকশাকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই মিজানুরের মৃত্যু হয়। আহত হন অটোরিকশার চালকসহ আরও তিনজন।
চট্টগ্রাম বন্দর নগরে মোবাইল ফোনে উত্ত্যক্ত, হুমকি, চাঁদাবাজিসহ অপরাধ করা হলেও পার পেয়ে যাচ্ছে অপরাধীরা। ভুক্তভোগী ব্যক্তিরা পুলিশকে জানালেও ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্র, সনদ ও ছবি ব্যবহার করে সিম নেওয়ায় ধরা পড়ছে না। হুমকিদাতাদের পুলিশ ধরতে না পারলেও ভুয়া পরিচয়পত্রে সিম বিক্রয়কারী চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তারের পর বেরিয়ে এসেছে চাঞ্চল্যকর এসব তথ্য।মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার অনিন্দিতা বড়ুয়া প্রথম আলোকে বলেন, অবৈধভাবে মোবাইল ফোনের সিম বিক্রি বেড়ে যাওয়ায় অপরাধীদের সহজে শনাক্ত করা যাচ্ছে না। দেখা গেল একটি নম্বর থেকে কাউকে চাঁদা ও হত্যার হুমকি দিল। কিন্তু সিমের রেজিস্ট্রেশনে আছে অন্য ব্যক্তির ঠিকানা ও ছবি। এতে অপরাধীরা ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকছে। এ ব্যাপারে সিম বিক্রিতে সতর্কতা অবলম্বনের জন্য মোবাইল ফোন কোম্পানিগুলোকে চিঠি দিয়ে জানানো হবে। নগরের লাভলেইন এলাকার গৃহিণী ফরিদা পারভীন প্রথম আলোকে বলেন, ২০ দিন ধরে একটি ফোন (০১৮২৫১৪৮২৯৮) থেকে রাত-দিন ফোন করে উত্ত্যক্ত করছেন এক যুবক। পুলিশকে জানালেও তাঁকে ধরতে পারছে না।নগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার (উত্তর) মো. কামরুজ্জামান প্রথম আলোকে জানান, মোবাইল ফোনে চাঁদাবাজি, উত্ত্যক্ত, হুমকিসহ নানা অভিযোগ আসে পুলিশের কাছে। পুলিশ নম্বরগুলোর সিম রেজিস্ট্রেশনে নাম-ঠিকানা ও পরিচয়পত্র দেখে হুমকিদাতাকে শনাক্তের চেষ্টা করে। দেখা গেল চট্টগ্রামে বসে এক লোক কাউকে হুমকি দিচ্ছে। কিন্তু সিমের রেজিস্ট্রেশনে রয়েছে ঢাকা কিংবা রাজশাহীর ঠিকানা। ওই ঠিকানায় যোগাযোগ করা হলে সিমটি ঢাকা কিংবা রাজশাহীর ব্যক্তির নয় বলে জানা যায়। এতে হুমকিদাতাকে সহজে শনাক্ত করা যায় না।জানা গেছে, নির্দিষ্ট ডিলারের মাধ্যমে জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি, ছবি ও একটি ফরম পূরণ করে সিম ক্রয়ের নিয়ম থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। টেলিযোগাযোগ আইন অনুযায়ী রেজিস্ট্রেশন ছাড়া ও ভুয়া কাগজপত্রের মাধ্যমে সিম বিক্রি প্রমাণিত হলে জরিমানা, ১০ বছরের কারাদণ্ড কিংবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান রয়েছে।আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেছেন, গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশ (আরপিও) সংশোধনে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সুপারিশের বাধ্যবাধকতা নেই।আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত এ কথা বলেন।দপ্তরবিহীন মন্ত্রী সুরঞ্জিত বলেন, ‘আইন সংশোধনের সর্বোচ্চ ক্ষমতা জাতীয় সংসদের। সুতরাং আরপিও সংশোধন করতে নির্বাচন কমিশনের সুপারিশের বাধ্যবাধকতা নেই।’ তিনি বলেন, ‘তিন বছর একটি দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকতে হবে, এটা একটা যৌক্তিক বিষয়। একটি রাজনৈতিক দল করলে অন্য রাজনৈতিক দলের কাছে মনোনয়ন চাওয়ার অধিকার হরণ করা হয়েছে অধ্যাদেশে। এটা মৌলিক অধিকারপরিপন্থী ও বৈষম্যমূলক—তাই আইনটিকে আমরা সংশোধন করেছি।’দুই নেত্রীর ফোনালাপ প্রকাশ শিষ্টাচারবহির্ভূত হয়েছে—বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘এখানে কী শিষ্টাচার লঙ্ঘন করা হয়েছে, আমার জানা নেই। ফখরুলের এ মন্তব্য দুঃখজনক। তাঁদের (দুই নেত্রীর) এই আলোচনা জনস্বার্থে-জনকল্যাণে প্রকাশ করা হয়েছে। এটা জানার অধিকার জনগণের আছে। এটা তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার। তবে রাজনীতিকদের আচরণ হতে হবে মার্জিত, পরিশীলিত ও দায়িত্বশীল। যেন আগামী প্রজন্মের কাছে এটা শিক্ষণীয় হয়।’সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত অভিযোগ করেন, বিরোধী দলের নেতার কথার মধ্যে অগণতান্ত্রিক মনোভাব ও অসৌজন্যবোধ ফুটে উঠেছে। এ জন্যই তাঁরা ‘গেল গেল’ চিত্কার করছেন। তাঁরা বিব্রতবোধ করছেন। এটাও একটা শিক্ষা। তিনি বলেন, নির্বাচন ছাড়া ক্ষমতা হস্তান্তরের আর কোনো উপায় নেই। নির্বাচন না হলে এর বিকল্প যা রয়েছে, তা শোভনীয় নয়। অচলাবস্থা দূর করে সমাধানের পথে আসা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন এই নেতা।নৌকা সমর্থক গোষ্ঠীর উপদেষ্টা মোহাম্মদ সেলিমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সতীশ চন্দ্র রায়, সাম্যবাদী দলের নেতা হারুন চৌধুরী প্রমুখ।জেটি থাকলেও যাত্রীদের তা ব্যবহার করতে দেওয়া হচ্ছে না। চট্টগ্রাম থেকে সন্দ্বীপগামী যাত্রীরা কুমিরায় নৌ টার্মিনাল ব্যবহার করতে না পারায় কাদামাটি পেরিয়ে নৌযানে উঠতে হচ্ছে। এ কারণে যাত্রীরা দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে।চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে গতকাল সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেছে ‘আমরা সন্দ্বীপবাসী’ নামের একটি সংগঠন। লিখিত বক্তব্যে অবিলম্বে নৌ টার্মিনালটি উন্মুক্ত করে দেওয়ার দাবি জানানো হয়।সর্বশেষ কবে আন্তর্জাতিক কাবাডিতে অংশ নিয়েছিলেন তা মনেই করতে পারছিলেন না জিয়াউর রহমান। খানিক স্মৃতি হাতড়ে বললেন, ‘শেষবার ইন্দোনেশিয়ায় বিচ কাবাডিতে খেলেছি ২০০৮ সালে।’ একসময়ের বিশ্বসেরা রেইডার এরপর চোটের কারণে ঢাকায় এসএ গেমসে খেলতে পারেননি। কিন্তু পুরুষ কাবাডি দলও এরপর খুব বেশি আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়নি। তিন বছর আগে সর্বশেষ গুয়াংজুতে এশিয়ান গেমসে খেলেছে বাংলাদেশ পুরুষ কাবাডি দল। আন্তর্জাতিক কাবাডি তাদের কাছে সেই থেকেই স্মৃতি।বাংলাদেশের জাতীয় খেলা কাবাডি। কিন্তু সেটি এখন ধ্বংস হওয়ার পথে। বিশেষ করে এশিয়ান গেমস থেকে ৩ রুপা ও ২ ব্রোঞ্জজয়ী পুরুষ দলের প্রতি সব সময় বিমাতাসুলভ আচরণ করে ফেডারেশন। কোনো আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে দল পাঠানোর আগে বিবেচনায় আসে মহিলা কাবাডি দলের নাম। দেশে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার আয়োজন করলে সেটাও মহিলাদের! আগামী মাসে অন্ধ্র প্রদেশে ভারতের রাজ্যদলগুলোকে নিয়ে অনুষ্ঠেয় আমন্ত্রণমূলক কাবাডিতে খেলবে মহিলা দল। পুরুষ দল পাঠানোর প্রয়োজন মনে করেনি ফেডারেশন। আগামী বছর দক্ষিণ কোরিয়ার ইনচনে অনুষ্ঠেয় ১৭তম এশিয়ান গেমসে কাবাডি দল পাঠানোর জন্য ফেডারেশন বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনে (বিওএ) ১০ ডিসেম্বর একটি চিঠি দেয়। বিওএ বিবেচনায় নিয়েছে শুধু মহিলা দলকে! মহিলা দলের নাম নিবন্ধনপ্রক্রিয়াও শেষ। খবরটা শুনে নড়েচড়ে বসেছে ফেডারেশন। শেষ মুহূর্তে বিওএ কর্মকর্তাদের অনুরোধ করা হচ্ছে যাতে পুরুষ দলকেও এশিয়ান গেমসে পাঠানো হয়। না হলে যে ফেডারেশনের সম্মান থাকে না!ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম দুই মাস ধরে অস্ট্রেলিয়ায় রয়েছেন। কবে আসবেন ঠিক নেই। ফেডারেশনের কোষাধ্যক্ষ আবদুল মান্নান বললেন, ‘জানুয়ারির ১৩ তারিখ দেশে আসার সম্ভাবনা আছে সেক্রেটারির। উনি না এলেও আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করছি যাতে পুরুষ দলটিকে এশিয়ান গেমসে অন্তর্ভুক্ত করা যায়।’ কমনওয়েলথ গেমস ও এশিয়ান গেমস সামনে রেখে ১০টি ফেডারেশনের খেলোয়াড়দের নিয়ে অনুশীলন শুরু করবে বিওএ। এর মধ্যে আটটি ফেডারেশনের খেলোয়াড়দের অনুশীলন ক্যাম্প ও প্রস্তুতি বাজেট নিয়ে বিওএ সভা ডেকেছে ৩১ ডিসেম্বর। যেখানে সংশ্লিষ্ট আট ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদকদেরই থাকতে হবে। ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক যে অস্ট্রেলিয়ায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন!কাবাডি দলের এমন দুর্দশায় হতাশ বাংলাদেশকে এশিয়ান গেমসে তিনটি পদক জেতানো কোচ আবদুল জলিল, ‘একসময় পুরুষ কাবাডি দল নিয়ে গর্ব করতাম আমরা। সেটা শেষ হয়ে যাচ্ছে। ফেডারেশনের অবহেলায় কাবাডি একদিন হারিয়ে যাবে। এশিয়ান গেমসে যদি পুরুষ দল না যেতে পারে, তাহলে খেলাটাই উঠে যাবে।’ এশিয়ান গেমসে পুরুষ দল খেলতে পারবে কি না, সেটা নিয়ে অবশ্য সংশয় আছে। বিওএর উপমহাসচিব আশিকুর রহমান (মিকু) কাল জানালেন, ‘মহিলা কাবাডি দলের এন্ট্রি এরই মধ্যে পাঠিয়েছি। তবে পুরুষ দল পাঠানোর ব্যাপারে চেষ্টা করছি। আশা করি, পুরুষ দলকেও এশিয়ান গেমসে পাঠাতে পারব।’এশিয়াড কাবাডিতে বাংলাদেশসাল  ভেন্যু        পদক১৯৯০ (পুরুষ)      বেইজিং        রুপা১৯৯৪ (পুরুষ)    হিরোশিমা        রুপা১৯৯৮ (পুরুষ)     ব্যাংকক     ব্রোঞ্জ২০০২ (পুরুষ)       বুসান        রুপা২০০৬ (পুরুষ)     দোহা     ব্রোঞ্জ