title
stringlengths
9
97
content
stringlengths
48
3.94k
জুলাইয়ে আমদানি বেশি, বড় বাণিজ্য ঘাটতিতে দেশ
দেশীয় মুদ্রায় (প্রতি এক ডলার সমান ৯৫ টাকা ধরে) এর পরিমাণ দাঁড়ায় ১৮ হাজার ৮১৯ কোটি ৫০ লাখ টাকা। এ হিসাবে গত অর্থবছরের (জুলাই) একই সময়ের চেয়ে এই বছর ৬২ কোটি ৮০ লাখ ডলার বাণিজ্য ঘাটতি বেড়েছে।বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য মতে, চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে বহির্বিশ্বের সঙ্গে দেশের বাণিজ্য ঘাটতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৯৮১ মিলিয়ন ডলার বা ১৯৮ কোটি ১০ লাখ ডলার। গত ২০২১-২২ অর্থবছরের একই সময়ে এ ঘাটতি ছিল এক হাজার ৩৫৩ মিলিয়ন বা ১৩৫ কোটি ৩০ লাখ ডলার। সে হিসাবে গত অর্থবছরের জুলাই মাসের চেয়ে চলতি অর্থবছরের জুলাইয়ে বাণিজ্য ঘাটতি বেড়েছে ৬২ কোটি ৮০ লাখ ডলার।
ঢাবি ক্যাম্পাস থেকে স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে অপহরণ!
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাস থেকে মো. মহিউদ্দিন খান নামের এক ব্যবসায়ীকে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে। অপহরণের পর ২০ লাখ টাকাসহ একটি মোবাইল ফোন ডাকাতি হয়েছে ওই ব্যক্তির। এ ঘটনায় রাজধানীর শাহবাগ থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন তিনি। তিনি ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন
ঢাবি ক্যাম্পাস থেকে স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে অপহরণ!
এ বিষয়ে শাহবাগ থানার ওসি মওদুত হাওলাদার কালের কণ্ঠকে বলেন, প্রাথমিক অভিযোগ পেয়ে তথ্য যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। যাচাই-বাছাইয়ে সত্যতা পাওয়া গেলে এ ঘটনায় মামলা নেওয়া হবে। সেই সঙ্গে ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টাও চলছে।এ বিষয়ে মহিউদ্দিন খান দাবি করেছেন, শনিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবের সামনের রাস্তা দিয়ে মোটরসাইকেলে করে যাওয়ার সময় তাঁর গতিরোধ করে ‘সেনাবাহিনী’ লেখা জলপাই রঙের একটি গাড়ি
ঢাবি ক্যাম্পাস থেকে স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে অপহরণ!
তিনজন ওই গাড়ি থেকে নেমে তাঁকে মোটরসাইকেল থেকে নামতে বলে। প্রশাসনের লোক ভেবে তিনি মোটরসাইকেল থেকে নেমে যান। এরপর মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে লোকগুলো তাঁকে একটি গাড়িতে উঠিয়ে গামছা দিয়ে চোখ বেঁধে মারধর করতে থাকে।মহিউদ্দিন বলেন, এক পর্যায়ে তিনি বুঝতে পারেন, ডাকাতের কবলে পড়েছেন তিনি
ঢাবি ক্যাম্পাস থেকে স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে অপহরণ!
এ সময় ডাকাতরা তাঁর কাছ থেকে মোট ২০ লাখ টাকা ও একটি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। এর মধ্যে তাঁর দুই পায়ে রাবার দিয়ে বাঁধা দুই লাখ করে মোট চার লাখ টাকা এবং কোমরে কাপড়ের বেল্টে রাখা আরো ১৬ লাখ টাকা নিয়ে নেয় ডাকাতরা।পরে হাত, পা ও চোখ বাঁধা অবস্থায় তারা তাঁকে রাস্তার পাশে ফেলে দেয়। কয়েকজন পথচারী তাঁর গোঙানির শব্দ শুনে বাঁধন খুলে উদ্ধার করে তাকে। এ সময় ওই লোকগুলো তাঁকে জানায়, তিনি কেরানীগঞ্জের আব্দুল্লাপুরের রাস্তার পাশে রয়েছেন। পরে বিষয়টি তাঁর ভাই কবির হোসেনকে জানান তিনি।
পুলিশ পরিচয়ে দেড় হাজার ছিনতাই, টার্গেট নারী!
পুলিশ পরিচয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে তুলে নিয়ে ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িত শাকিল আহম্মেদ রুবেলকে (২৮) গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। গত ১০ বছরে দেড় হাজারের মতো ছিনতাইয়ের ঘটনায় শাকিল জড়িত বলে জানা গেছে। এসব ঘটনায় শাকিল নিজেকে পুলিশ হিসেবে পরিচয় দিতেন। গত শনিবার শাকিলকে গ্রেপ্তার করা হয়
পুলিশ পরিচয়ে দেড় হাজার ছিনতাই, টার্গেট নারী!
এ সময় তাঁর সহযোগী আকাশ শেখ (২২), দেলোয়ার হোসেন (৫৫) ও হাবিবুর রহমানকেও গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাঁদের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, দুই রাউন্ড গুলি, একটি ম্যাগাজিন, একটি ওয়্যারলেস সেট, পুলিশের স্টিকারযুক্ত দুটি মোটরসাইকেল ও ছয়টি মোবাইল ফোনসেট জব্দ করা হয়েছে।গতকাল রবিবার ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এসব তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ডিবিপ্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
রাজধানীর যেসব মার্কেট ও দোকানপাট বন্ধ থাকবে আজ
কেনাকাটা আমাদের জীবনের নিত্যপ্রয়োজনীয় অংশ। দৈনন্দিন প্রয়োজনে আমাদের সবাইকে কমবেশি মার্কেটে যেতেই হয়। তবে রাজধানীতে নির্দিষ্ট কিছু দিনে কিছু মার্কেট বন্ধ থাকে। তাই সেগুলো সম্পর্কে জেনে রাখলে আমাদের জন্য সুবিধা হবে
রাজধানীর যেসব মার্কেট ও দোকানপাট বন্ধ থাকবে আজ
রোববার পূর্ণ দিবস এবং সোমবার বেলা ২টা পর্যন্ত (অঞ্চল-২) যেসব এলাকার দোকানপাট বন্ধ থাকবে-রামপুরা, বনশ্রী, খিলগাঁ, গোড়ান, মালিবাগের একাংশ, বাসাবো, ধলপুর, সায়েদাবাদ, মাদারটেক, মুগদা, কমলাপুরের একাংশ, যাত্রাবাড়ী একাংশ, শনির আখড়া, দনিয়া, রায়েরবাগ, সানারপাড়।এসব এলাকার উল্লেখযোগ্য মার্কেটগুলো হল-রামপুরার মোল্লা টাওয়ার, আল-আমিন সুপার মার্কেট, রামপুরা সুপার মার্কেট, মালিবাগ সুপার মার্কেট, তালতলা সিটি কর্পোরেশন মার্কেট, কমলাপুর স্টেডিয়াম মার্কেট, গোড়ান বাজার, মেরাদিয়া বাজার, আয়েশা-মোশারফ শপিং কমপ্লেক্স, দনিয়া তেজারত সুপার মার্কেট, আবেদীন টাওয়ার, ঢাকা শপিং সেন্টার, মিতালী অ্যান্ড ফ্রেন্ডস সুপার মার্কেট।রোববার পূর্ণ দিবস এবং সোমবার বেলা ২টা পর্যন্ত (অঞ্চল-৬) যেসব এলাকার দোকানপাট বন্ধ থাকবে বন্ধ থাকবে-আগারগাঁও, তালতলা, শেরে বাংলা নগর, শেওড়াপাড়া, কাজীপাড়া, পল্লবী, মিরপুর-১০, মিরপুর-১১, মিরপুর-১২, মিরপুর-১৩, মিরপুর-১৪, ইব্রাহীমপুর, কচুক্ষেত, কাফরুল, মহাখালী, নিউ ডিওএসএইচ, ওল্ড ডিওএসএইচ, কাকলী, তেজগাঁও ওল্ড এয়ারপোর্ট এরিয়া, তেজগাঁ ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল এরিয়া, ক্যান্টনমেন্ট, গুলশান-১ ও ২, বনানী, মহাখালী কমার্শিয়াল এরিয়া, নাখালপাড়া, মহাখালী ইন্টার সিটি বাস টার্মিনাল এরিয়া।এসব এলাকার উল্লেখযোগ্য মার্কেটগুলো হল-বিসিএস কম্পিউটার মার্কেট, পল্লবী শপিং মার্কেট, মিরপুর বেনারশি পল্লী, পূরবী সুপার মার্কেট, নিউ সোসাইটি মার্কেট, মোহাম্মদীয়া সোসাইটি মার্কেট, সুইডেন প্লাজা, পর্বতা টাওয়ার, তামান্না কমপ্লেক্স, ছায়ানীড় সুপার মার্কেট, রজনীগন্ধা সুপার মার্কেট, ইব্রাহিমপুর বাজার, ইউএই মৈত্রী কমপ্লেক্স, রহমান মার্কেট, বনানী সুপার মার্কেট, ডিসিসি মার্কেট গুলশান-১, ডিসিসি মার্কেট গুলশান-২, নাভানা টাওয়ার, আলম সুপার মার্কেট, কলোনি বাজার মার্কেট।
প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর : জ্বালানি তেল, তিস্তাচুক্তিসহ যেসব আলোচনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত ভারত। চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে আজ সোমবার দুপুরে নয়াদিল্লি পৌঁছাবেন প্রধানমন্ত্রী। ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ব্রিফিংয়ে বলা হয়েছে, এ সফরে ছয় থেকে সাতটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হতে পারে। এ সংখ্যা বাড়তেও পারে
প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর : জ্বালানি তেল, তিস্তাচুক্তিসহ যেসব আলোচনা
তবে নয়াদিল্লির সূত্রগুলো বলছে, গতকাল রবিবার বিকেলেও সম্ভাব্য চুক্তি ও এমওইউ চূড়ান্ত করতে আলোচনা চলছিল। আলোচনার মধ্যে দুই দেশ মিলে সামরিক সরঞ্জাম তৈরি করার বিষয়ে সমঝোতা স্মারকও ছিল। প্রধানমন্ত্রীর এই সফরে মূল গুরুত্ব পাবে আগামী দিনগুলোর, বিশেষ করে অন্তত পরবর্তী ২৫ বছরে সম্পর্কের রূপরেখা নিয়ে। গত বছর বাংলাদেশ ও ভারত কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্ণ করেছে
প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর : জ্বালানি তেল, তিস্তাচুক্তিসহ যেসব আলোচনা
২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ ও ২০৪৭ সালের মধ্যে ভারত উন্নত দেশ হওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। সেই লক্ষ্য পূরণের পাশাপাশি সম্পর্কের সব দিক ও সহযোগিতা যাতে এগিয়ে যায়, তা নিয়ে আলোচনা হবে এবারের সফরে।ভারত এ বছর পালন করছে স্বাধীনতার ৭৫ বছর ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব’। ভারত আগামী ২৫ বছরকে দেখছে ‘অমৃতপথ’ হিসেবে
প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর : জ্বালানি তেল, তিস্তাচুক্তিসহ যেসব আলোচনা
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, বাংলাদেশ ও ভারতের সুসম্পর্ক বর্তমানে বিশেষ উচ্চতায় অবস্থান করছে। বন্ধুপ্রতিম প্রতিবেশী দেশ ভারতের সঙ্গে শান্তিপূর্ণভাবে স্থল ও সমুদ্রসীমানা নির্ধারণ সারা বিশ্বের সামনে সহযোগিতার ঐতিহাসিক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। পাশাপাশি দ্বিপক্ষীয় বিভিন্ন বিষয় যেমন :নিরাপত্তা, আন্তঃসংযোগ, বিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতা, বাণিজ্য সম্প্রসারণ, রেল ও নৌপথে যোগাযোগ ইত্যাদি ক্ষেত্রে সহযোগিতা ব্যাপকভাবে বেড়েছে।কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানায়, প্রধানমন্ত্রী তিস্তাচুক্তির প্রসঙ্গ তুলবেন
প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর : জ্বালানি তেল, তিস্তাচুক্তিসহ যেসব আলোচনা
তিনি ভারতকে দ্রুত চুক্তি স্বাক্ষরের আহ্বান জানাবেন।পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহিরয়ার আলম বলেন, ভারত থেকে জ্বালানি তেল কিনতে পারে বাংলাদেশ। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে আলোচনা হতে পারে।ভারতের মাধ্যমে রাশিয়ার তেল ক্রয়ের কোনো পরিকল্পনা আছে কি না জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, তৃতীয় কোনো দেশের তেল ভারতের মাধ্যমে কেনার পরিকল্পনা এই মুহূর্তে নেই
প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর : জ্বালানি তেল, তিস্তাচুক্তিসহ যেসব আলোচনা
তিনি বলেন, ‘ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানি করছি। তবে রাশিয়ার তেল নয়, আমরা ভারতের তেল নিতে পারি। ভারতের উত্তর-পূর্ব দিক থেকে একটি পাইপলাইন পার্বতীপুর দিয়ে করা হয়েছে। জ্বালানি ক্ষেত্রে অনেক সহযোগিতা হতে পারে
প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর : জ্বালানি তেল, তিস্তাচুক্তিসহ যেসব আলোচনা
আলোচনার পরে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারব। ’প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৯ সালের অক্টোবরে সর্বশেষ ভারত সফর করেন। পরে কভিড মহামারির কারণে ২০২০ সালে বাংলাদেশ ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী এক ভার্চুয়াল সামিটে অংশ নেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্মবার্ষিকী, বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের সুবর্ণ জয়ন্তী এবং ভারত-বাংলাদেশ কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনের লক্ষ্যে গত বছরের মার্চে ভারতের প্রধানমন্ত্রী এবং ডিসেম্বরে ভারতের রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ সফর করেন
প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর : জ্বালানি তেল, তিস্তাচুক্তিসহ যেসব আলোচনা
নির্বাচন নিয়ে আলোচনা নয়প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিল্লি সফরে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কোনো আলোচনা হবে না বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহিরয়ার আলম। তিনি বলেন, বাংলাদেশের নির্বাচন অন্য কোনো রাষ্ট্রপ্রধান বা সরকারপ্রধানের সঙ্গে আলোচনার বিষয়বস্তু নয়।দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে একান্ত বৈঠক হবে কি না—এমন প্রশ্নে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী যখনই অন্য কোনো দেশের সরকারপ্রধানের সঙ্গে আলাপ করেন, তখন মোটামুটিভাবে প্রতিটি ক্ষেত্রে একান্ত আলোচনা হয়। ভারতের সঙ্গে সব সময় একান্ত আলোচনা হয়
প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর : জ্বালানি তেল, তিস্তাচুক্তিসহ যেসব আলোচনা
আশা করব যে এবারও একান্ত আলোচনা হবে। ’কাল শীর্ষ বৈঠকপ্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের প্রচলিত প্রথা অনুযায়ী রাষ্ট্রীয় আনুষ্ঠানিকতায় অংশ নেবেন। আগামীকাল মঙ্গলবার নয়াদিল্লির রাষ্ট্রপতি ভবনে গার্ড অব অনারের মধ্য দিয়ে তাঁকে আনুষ্ঠানিক অভ্যর্থনা জানানো হবে। এরপর তিনি রাজঘাট গান্ধী সমাধিস্থলে শ্রদ্ধা জানাবেন
প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর : জ্বালানি তেল, তিস্তাচুক্তিসহ যেসব আলোচনা
পরে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন হায়দরাবাদ হাউসে।বৈঠক শেষে বেশ কয়েকটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। শেষে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী যৌথ বিবৃতি দেবেন।দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের রাষ্ট্রপতি, উপরাষ্ট্রপতি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবেন
প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর : জ্বালানি তেল, তিস্তাচুক্তিসহ যেসব আলোচনা
ভারতীয় শহীদদের উত্তরাধিকারীদের বৃত্তিএবারের সফরে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে যেসব ভারতীয় সেনা সদস্য শহীদ হয়েছেন বা আহত হয়েছেন তাঁদের পরিবারের সদস্যদের মাঝে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্টুডেন্ট স্কলারশিপ’ দেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে স্কলারশিপ দেবেন। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে ভারতীয় সেনা সদস্যদের মহান আত্মত্যাগকে যথাযথ সম্মানের সঙ্গে স্মরণ করা হবে।ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনাআগামী বুধবার বাংলাদেশ ও ভারতের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে একটি বিজনেস ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হবে। প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে বাংলাদেশের একটি উচ্চপর্যায়ের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদল ভারত সফর করবে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভারত ও বাংলাদেশের মন্ত্রী ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা এই ইভেন্টে উপস্থিত থাকবেন।
বাঁধন কেটে অচেনা পথে পাড়ি
প্রখ্যাত গীতিকবি, চলচ্চিত্র পরিচালক ও প্রযোজক গাজী মাজহারুল আনোয়ার মারা গেছেন। গতকাল রবিবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে মারা যান অনেক কালজয়ী বাংলা গানের এই স্রষ্টা।‘জয় বাংলা, বাংলার জয়’, ‘একতারা তুই দেশের কথা’, ‘একবার যেতে দে না আমার ছোট্ট সোনার গাঁয়’, ‘গানের খাতায় স্বরলিপি লিখে’, ‘আকাশের হাতে আছে একরাশ নীল’, ‘আমি রজনীগন্ধা ফুলের মতো’, ‘যে ছিল দৃষ্টির সীমানায়, যে ছিল হৃদয়ের আঙিনায়’, ‘শুধু গান গেয়ে পরিচয়’সহ বহু কালজয়ী গানের রচয়িতা তিনি।তাঁর ঝুলিতে আছে আরো গান—‘অনেক সাধের ময়না আমার, বাঁধন কেটে যায়/মিছে তারে শিকল দিলাম, রাঙা দুটি পায়
বাঁধন কেটে অচেনা পথে পাড়ি
’‘ভেঙেছে পিঞ্জর মেলেছে ডানা/উড়েছে পাখি পথ অচেনা। ’ গতকাল যেন সব বাঁধন কেটে অচেনা পথে পাড়ি জমালেন এই শিল্পী।পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে, বেশ কিছুদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন গাজী মাজহারুল আনোয়ার। চিকিৎসকের পরামর্শে শনিবার তাঁর কিছু ডাক্তারি পরীক্ষা-নিরীক্ষাও করা হয়
বাঁধন কেটে অচেনা পথে পাড়ি
গতকাল আরো কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষার কথা ছিল। কিন্তু ভোরবেলায় অসুস্থ হয়ে পড়লে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। দায়িত্বরত চিকিৎসক পরীক্ষা করে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর
বাঁধন কেটে অচেনা পথে পাড়ি
দুপুরে হাসপাতালে গাজী মাজহারুল আনোয়ারের ছেলে সরফরাজ আনোয়ার উপল সাংবাদিকদের জানান, আজ সোমবার সকাল ১১টায় মরহুমের মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নেওয়া হবে। সেখানে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর নেওয়া হবে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (বিএফডিসি)। সেখানে দুপুর ১টায় গাজী মাজহারুল আনোয়ারের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। আসরের নামাজের পর গুলশান আজাদ মসজিদে তাঁর দ্বিতীয় জানাজা হবে
বাঁধন কেটে অচেনা পথে পাড়ি
এরপর বনানী কবরস্থানে মায়ের কবরের পাশে সমাহিত হবেন মাজহারুল আনোয়ার।সাতচল্লিশের দেশবিভাগের পর তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে নতুন করে সংগীতের চর্চা, প্রচার ও প্রসারের আয়োজন শুরু হয়। এ সময়ের আধুনিক গানের বাণী ও সুর রচনায় যাঁরা মৌলিকত্বের পরিচয় দেন, তাঁদের মধ্যে গাজী মাজহারুল আনোয়ার অন্যতম। তাঁর রচিত গানের বাণী ও সুরে পূর্ববর্তী আধুনিক বাংলা গানের ধারা অনুসৃত হলেও সাংগীতিক চলনে ও গঠনে ভিন্ন স্বাদের অবতারণা সুস্পষ্ট
বাঁধন কেটে অচেনা পথে পাড়ি
তাঁর গানে দেশপ্রেমের পাশাপাশি মানব-অনুভূতির নিগূঢ়তম তলদেশ খুঁজে পাওয়া যায়।গাজী মাজহারুল আনোয়ার ১৯৪৩ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার তালের ছেও গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ষাটের দশকের শুরুতে চিকিৎসাবিদ্যায় পড়াশোনা শুরু করলেও ১৯৬৪ সালে তৎকালীন রেডিও পাকিস্তানে গান লেখার মাধ্যমে কর্মজীবন শুরু করেন। এরপর প্রধানত গান আর চলচ্চিত্র ঘিরেই আবর্তিত হতে থাকে তাঁর জীবন
বাঁধন কেটে অচেনা পথে পাড়ি
১৯৬৭ সালে মুক্তি পাওয়া সুভাষ দত্ত পরিচালিত ‘আয়না ও অবশিষ্ট’ চলচ্চিত্রে ‘আকাশের হাতে আছে একরাশ নীল’ গান লেখার মাধ্যমে চলচ্চিত্রে গীতিকার হিসেবে যাত্রা শুরু হয় গাজী মাজহারুল আনোয়ারের। প্রথম গানেই শ্রোতাদের মন জয় করেন তিনি। এরপর বেতার, টেলিভিশন ও চলচ্চিত্রে সৃজন আনন্দে অবিরাম ধারায় মণি-মুক্তা বিলিয়েছেন। উপহার দিয়েছেন ‘আছেন আমার মোক্তার আছেন আমার ব্যারিস্টার, ‘শুধু গান গেয়ে পরিচয়’, ‘ইশারায় শিস দিয়ে ডেকো না’, ‘এই মন তোমাকে দিলাম’, ‘চলে আমার সাইকেল হাওয়ার বেগে’-এর মতো বহু স্মরণীয় গান
বাঁধন কেটে অচেনা পথে পাড়ি
তাঁর নিজের লেখা ‘অল্প কথার গল্প গান’ বইয়ের ভূমিকা ও পরিচিতি অংশে বলা হয়েছে, ৬০ বছরের কর্মজীবনে তিনি ২০ হাজারের বেশি গান উপহার দিয়েছেন।স্বাধীনতা আন্দোলন তখন তুঙ্গে। সারা দেশ তেতে আছে। বঙ্গবন্ধু রেসকোর্স ময়দানের ৭ই মার্চের ভাষণে ঘোষণা দিয়েছেন ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’
বাঁধন কেটে অচেনা পথে পাড়ি
ওই আন্দোলনঘন সময়েই ‘জয় বাংলা’ নামের একটি সিনেমা নির্মাণের ঘোষণা আসে। সিনেমাটির জন্য বঙ্গবন্ধুর ভাষণের বক্তব্য ধারণ করে গাজী মাজহারুল আনোয়ার লেখেন মুক্তিযুদ্ধের প্রেরণাদায়ী গান ‘জয় বাংলা বাংলার জয়’। আনোয়ার পারভেজের সুরে এই গানকেই পরে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের সূচনা সংগীত হিসেবে বেছে নেওয়া হয়। সূচনা সংগীত হিসেবে প্রতিদিন নিয়মিত প্রচার করা হতো গানটি
বাঁধন কেটে অচেনা পথে পাড়ি
২০০৬ সালে শ্রোতাজরিপের ভিত্তিতে বিবিসি বাংলা তৈরি করে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ কুড়িটি বাংলা গানের তালিকা। এতে গীতিকার গাজী মাজহারুল আনোয়ারের ‘জয় বাংলা বাংলার জয়’, ‘একতারা তুই দেশের কথা বলরে এবার বল’ ও ‘একবার যেতে দে না আমার ছোট্ট সোনার গাঁয়’ গান তিনটি স্থান পায়। গান তিনটি তালিকায় যথাক্রমে ১৩, ১৫ ও ১৯ নম্বরে স্থান পায়।কর্মজীবনের শুরুতেই প্রখ্যাত সংগীত পরিচালক সত্য সাহার মাধ্যমে সাংস্কৃতিক অঙ্গনে প্রবেশ ঘটে তাঁর
বাঁধন কেটে অচেনা পথে পাড়ি
গাজী মাজহারুল আনোয়ার কিছু টিভি নাটকও পরিচালনা করেছেন। তাঁর প্রযোজিত চলচ্চিত্রের সংখ্যা ৩১। পরিচালনা করেছেন ২১টি চলচ্চিত্র। তাঁর পরিচালিত প্রথম চলচ্চিত্র ‘নান্টু ঘটক’ ১৯৮২ সালে মুক্তি পায়
বাঁধন কেটে অচেনা পথে পাড়ি
গাজী মাজহারুল আনোয়ার কাজের স্বীকৃতি হিসেবে স্বাধীনতা পদক ও একুশে পদক ছাড়াও বহু পুরস্কার ও সম্মাননা পেয়েছেন। ছয়বার পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে সংগীত বিষয়ে অবদানের জন্য বিশেষ সম্মাননা দিয়েছে।গাজী মাজহারুল আনোয়ার স্ত্রী জোহরা গাজী, পুত্র সরফরাজ মেহেদী আনোয়ার উপল, কন্যা দিঠি আনোয়ারসহ অসংখ্য বন্ধু-বান্ধব ও ভক্ত-শুভাকাঙ্ক্ষী রেখে গেছেন।শোক : গাজী মাজহারুল আনোয়ারের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহ্মুদ, সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের ও বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা শোক জানিয়েছেন। গাজী মাজহারুল আনোয়ার বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ছিলেন।
শেখ হাসিনা খালি হাতে ফিরে যেতে আসছেন না
এর আগেরবার যখন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিল্লি সফরে এসেছিলেন, তখন ঐতিহাসিক হায়দরাবাদ হাউসে মোদি-হাসিনার বৈঠকের পর মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করা হয়েছিল। হায়দরাবাদ হাউসে আয়োজিত সেই মধ্যাহ্নভোজে উপস্থিত ছিলাম। সেদিন দেখেছিলাম, কত যত্ন নিয়ে শেখ হাসিনার আপ্যায়ন করেছিলেন নরেন্দ্র মোদি। সেই সময় খাবারের মেন্যুটা পর্যন্ত এমনভাবে তৈরি করা হয়েছিল, যাতে বাংলাদেশ আর ভারত দুই দেশেরই ব্যঞ্জনের বৈচিত্র্য থাকে
শেখ হাসিনা খালি হাতে ফিরে যেতে আসছেন না
সেখানে বাংলাদেশের খাবার যেমন ছিল, তেমনি ছিল ভারতীয় নিরামিষ ভোজনের ব্যবস্থা। মনে আছে, সেই সময় উত্তর ভারতে নবরাত্রি চলছিল। নরেন্দ্র মোদি নবরাত্রি পালন করেন। সেই সময় তিনি কোনো কিছুই খান না, সারা দিন শুধু ফলের রস খেয়ে থাকেন
শেখ হাসিনা খালি হাতে ফিরে যেতে আসছেন না
তবে যাঁরা নবরাত্রি পালন করছেন তাঁদের জন্য এক রকম ব্যবস্থা ছিল, আবার বাংলাদেশের অতিথিদের জন্য পৃথক ব্যবস্থা ছিল। এ তো গেল খাওয়াদাওয়ার আয়োজন।গতবার অজিত দোভাল এবং অন্য কর্তাব্যক্তিরা বিভিন্ন টেবিলে এমনভাবে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে বসেছিলেন, যাতে আনুষ্ঠানিক বৈঠক ছাড়াও বাংলাদেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে পারস্পরিক আদান-প্রদান হয়। শিল্পপতি আদানি সেবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সেই মধ্যাহ্নভোজের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন
শেখ হাসিনা খালি হাতে ফিরে যেতে আসছেন না
সেই সব বৈঠকের ফাঁকে ফাঁকে যাঁরা বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ও পরিবহন পরিকাঠামো সংক্রান্ত বিভাগের প্রধান ও দায়িত্বপ্রাপ্ত, তাঁদের সঙ্গে আদানির খোলামেলা আলোচনা চলছিল।এবার শেখ হাসিনার আরেকটি সফর। তাঁর এবারের সফর আরো তাৎপর্যপূর্ণ। কেননা এমন একটা সময় এই সফরটা হচ্ছে যখন ২০২৩ সালে বাংলাদেশের নির্বাচন আসন্ন
শেখ হাসিনা খালি হাতে ফিরে যেতে আসছেন না
আবার নরেন্দ্র মোদিরও লোকসভা নির্বাচন ২০২৪ সালে হতে চলেছে। বাংলাদেশ এখন নানা কারণে উত্তাল। মৌলবাদী শক্তি শেখ হাসিনা এবং ভারতের যৌথ বিরোধিতা শুরু করেছে। ভারত বিরোধিতার তাস ব্যবহার করে সেই সব মৌলবাদী শক্তি শেখ হাসিনার বিরোধিতা করছে
শেখ হাসিনা খালি হাতে ফিরে যেতে আসছেন না
তারা সংখ্যালঘু হিন্দুবিরোধী, হাসিনাবিরোধী ও ভারতবিরোধী—এই ত্রয়ী প্যাকেজ নিয়ে আসরে নেমেছে।ভারতীয় গোয়েন্দা সূত্রে জানা যাচ্ছে, এই মুহূর্তে লন্ডন শহরে বসেও তালেবানি ও মৌলবাদী শক্তিরা সক্রিয়। বিভিন্ন ব্যক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশে হাসিনাকে দুর্বল করার জন্য মৌলবাদী ষড়যন্ত্রের হাব হয়ে উঠেছে লন্ডন। এমনও সন্দেহ রয়েছে যে চীনা রাষ্ট্রের একাংশ সেই ষড়যন্ত্রের সঙ্গে লিপ্ত
শেখ হাসিনা খালি হাতে ফিরে যেতে আসছেন না
স্বভাবতই শেখ হাসিনার এই সফর নিয়ে ভারত অনেক বেশি সচেতন।বাংলাদেশের প্রতি ভারতের যে কর্তব্য বা দায়িত্ব সেটা শুধু বাংলাদেশের ওপর ভারতের নিয়ন্ত্রণ কায়েম করার জন্য নয়। এই মুহূর্তে বাংলাদেশের ওপর ভারতের নির্ভরশীলতা উপমহাদেশে শান্তি বজায় রাখার জন্যও জরুরি। কেননা বাংলাদেশের যে জিওস্ট্র্যাটেজিক পজিশন, বিশেষত ইউক্রেনকে কেন্দ্র করে নয়া ঠাণ্ডাযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর তা আরো বেশি তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে
শেখ হাসিনা খালি হাতে ফিরে যেতে আসছেন না
সেই কারণে এবার শেখ হাসিনার সফরের মর্যাদা ও তাৎপর্য অনেক।শেখ হাসিনা খালি হাতে ফিরে যেতে আসছেন না। তাঁকে নানা দিক থেকে অভ্যর্থনা জানাতে ভারত এবার প্রস্তুত। পাঁচটা থেকে সাতটা এমওইউ স্বাক্ষরিত হবে, সে ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই
শেখ হাসিনা খালি হাতে ফিরে যেতে আসছেন না
নেপাল থেকে জিএমআরের মতো কম্পানি বাংলাদেশে জলবিদ্যুৎ নিয়ে যাবে ভারতের মধ্য দিয়ে, সে ব্যাপারেও বোঝাপড়া হবে। কুশিয়ারা এবং আরো বেশ কিছু নদী নিয়ে একটা চুক্তি করা হবে, যাতে এই মুহূর্তে যত দিন না তিস্তা চুক্তি হচ্ছে, তার বিকল্প হিসেবে যাতে বাংলাদেশে পানির কোনো অভাব না থাকে।শেষ পর্যন্ত কী হবে, সেটা তো সফরের আগে বলা যাবে না। তবে এখন শোনা যাচ্ছে, দুই পক্ষের মধ্যে আলাপ-আলোচনা চলছে, রাশিয়া থেকে যে তেল ভারতে আসে সেই তেলের একটা বড় অংশ বাংলাদেশ সরাসরি ভারতের কাছ থেকে কিনতে পারবে
শেখ হাসিনা খালি হাতে ফিরে যেতে আসছেন না
সে ক্ষেত্রে প্রয়োজনে ভারত ভর্তুকি দেবে। পেট্রল ও ডিজেল—দুটিই যদি ভারতের কাছ থেকে ন্যায্য মূল্যে পাওয়া যায়, তাহলে এই মুহূর্তে বাংলাদেশে পেট্রল-ডিজেলের সংকট দূর হবে। এর ফলে মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে যে অসন্তোষ, সেটাও দূরীভূত হবে এবং বিভিন্ন সমস্যার সমাধান হবে। বিদ্যুেক্ষত্র থেকে শুরু করে কৃষিক্ষেত্র—সর্বত্র পেট্রল-ডিজেলের প্রয়োজন
শেখ হাসিনা খালি হাতে ফিরে যেতে আসছেন না
মোংলা বন্দর একটা উপ-আঞ্চলিক বাণিজ্যকেন্দ্র। সেই মোংলা বন্দর বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বন্দর। সেটার পুনর্নির্মাণ, পুনরুজ্জীবনের জন্য ভারতের যে লাইন অব ক্রেডিট তা নিয়ে বেশ কিছু অংশে কাজ হচ্ছে। খুলনা-মোংলা রেললাইনের জন্য তৈরি রূপসা নদীর কাজসহ একের পর এক বিষয় রয়েছে তাতে, যেগুলো নিয়ে ব্রেইনস্টরমিং বৈঠক হতে চলেছে
শেখ হাসিনা খালি হাতে ফিরে যেতে আসছেন না
সুতরাং বাংলাদেশের রেল প্রকল্পগুলো নিয়ে যেমন আলোচনা হবে, আবার বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে যৌথভাবে আরো রেল প্রকল্পের উন্নতি, বাংলাদেশ টিভি এবং ভারতের প্রসার ভারতীর মধ্যেও যৌথভাবে অনেক কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র ভারত ও বাংলাদেশের আলোচনার মধ্যে আসবে।এখন মূল প্রশ্ন হলো, নদীর সমস্যাগুলো নিয়ে কী আলোচনা হবে? নদী কমিশনে তার একটা রূপরেখা পাওয়া গেছে। কিন্তু তিস্তা চুক্তির ভবিষ্যৎ কী? তিস্তা চুক্তি রূপায়ণ এই মুহূর্তে বাংলাদেশের জন্য অনেক বড় রাজনৈতিক ইস্যু
শেখ হাসিনা খালি হাতে ফিরে যেতে আসছেন না
অনেকে মনে করছেন, এই মুহূর্তে তিস্তা যে খুব প্রয়োজনীয় একটা বিষয়, এমন নয়। তার বদলে যদি পানির বিকল্প ব্যবস্থা হয়, সেটাই অনেক। তার কারণ যতক্ষণ পর্যন্ত ভারতের অভ্যন্তরীণ যুক্তরাষ্ট্রীয় সমস্যার সমাধান না হবে, তত দিন তিস্তা সমস্যার সমাধান খুব মুশকিল।ভারত সরকার এবার একটা নতুন উদ্যোগ নিতে শুরু করেছে
শেখ হাসিনা খালি হাতে ফিরে যেতে আসছেন না
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, আসাম ও ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীদের এবারের বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হবে কি হবে না, সেটা নিয়ে অনিশ্চয়তা আছে। এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসে কোনো আমন্ত্রণ আসেনি। ঠিক যেমন ত্রিপুরা ও আসামের মুখ্যমন্ত্রীর কাছেও কোনো আমন্ত্রণ আসেনি। এমনটা শোনা যাচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী ভাবছেন যে তিস্তা নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটা অনড় মনোভাব আছে
শেখ হাসিনা খালি হাতে ফিরে যেতে আসছেন না
সুতরাং এখনই এ ব্যাপারে আলোচনা করলে জটিলতা আরো বাড়তে পারে। সেই কারণে আগে অন্য বিষয়গুলো নিষ্পত্তি করতে চাইছেন।শেখ হাসিনার আমন্ত্রণে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ত্রিপুরা ও আসামের মুখ্যমন্ত্রীরা ঢাকা সফরেও যেতে পারেন। পদ্মা সেতু পরিদর্শন করার জন্য তাঁদের আমন্ত্রণ তো শেখ হাসিনা আগেই দিয়েছেন
শেখ হাসিনা খালি হাতে ফিরে যেতে আসছেন না
শেখ হাসিনার সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যক্তিগত সম্পর্ক এখন অত্যন্ত মধুর। আগে তিস্তা নিয়ে যে জটিলতা ছিল, সেটা এখন কেটে গেছে।মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই প্রতিবেদককে বলেছেন, ‘আমি তিস্তা চুক্তির বিরুদ্ধে নই। তিস্তা চুক্তি রূপায়ণ করব না এমনও নয়
শেখ হাসিনা খালি হাতে ফিরে যেতে আসছেন না
কিন্তু তিস্তা নদীর জল থেকে পশ্চিমবঙ্গের উত্তরবঙ্গ যাতে বঞ্চিত না হয়, তার জন্য কেন্দ্রের কাছে আমি অনেক দিন থেকেই দাবি জানাচ্ছি। সিকিম রাজ্যেও অনেক জলবিদ্যুৎ প্রকল্প তৈরি করা হয়েছে। এর ফলে জল বাঁধাপ্রাপ্ত হয়ে শিলিগুড়ি তথা উত্তরবঙ্গে আসছে না। সেই কারণে সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী এবং পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যে একটা বৈঠক ডাকার কথা
শেখ হাসিনা খালি হাতে ফিরে যেতে আসছেন না
’সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী এবং পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যে একটা দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করার কথা মোদিও ভাবছেন। কল্যাণ রুদ্রর রিপোর্ট অনুযায়ী বলা হয়েছে, উত্তরবঙ্গে যদি অনেক জলাধার তৈরি করা সম্ভব হয়, তাহলে সেই জলাধারে জল সঞ্চয় রেখে তিস্তার জল দিলে সমস্যার সমাধান হতে পারে। সেই জলাধারগুলো নির্মাণে যে খরচ সেটা কেন্দ্রকে জোগাতে হবে—এমনটা দাবি ছিল রাজ্য সরকারের। এখন দিল্লি সরকারকেও এ ব্যাপারে উদ্যোগ নিতে হবে এবং সে ব্যাপারে আলাপ-আলোচনার একটা প্রক্রিয়া শুরু হতে হবে
শেখ হাসিনা খালি হাতে ফিরে যেতে আসছেন না
কেননা বিজেপি ও তৃণমূলের যে রাজনৈতিক বিরোধ, সেটা আগামী দিনে যাতে তিস্তা চুক্তি রূপায়ণে বাধা না ফেলে, সে ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি উদ্যোগী হয়েছেন।সুতরাং আশা করা যায়, বিরোধিতার জন্য বিরোধিতা নয়। এখন এটাকে বাস্তবে রূপায়িত করার জন্য বাংলাদেশ সরকার চেষ্টা করছে। তবে ভারতের অভ্যন্তরীণ কেন্দ্র-রাজ্য বিবাদ বা তৃণমূল বনাম বিজেপির বিবাদে বাংলাদেশ সরকার কোনোভাবেই নাক গলাতে চায় না
শেখ হাসিনা খালি হাতে ফিরে যেতে আসছেন না
সেই কারণে গোটা জিনিসটা নরেন্দ্র মোদির ওপর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। শেখ হাসিনারও আস্থা আছে নরেন্দ্র মোদির ওপর। নরেন্দ্র মোদিও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যে তিনি এই ব্যাপারে যৎপরোনাস্তি চেষ্টা চালিয়ে যাবেন। সুতরাং আপাতত প্রত্যাশা অনেক। সব ভালো যেন শেষ ভালো হয়—শেষ পর্যন্ত এটাই দেখার বিষয়।লেখক : নয়াদিল্লিতে কালের কণ্ঠের বিশেষ প্রতিনিধি
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত : প্রয়োজন বহুমুখী উদ্যোগ
১৯৯২ সালে হুগলির দেবানন্দপুরে দেখা করতে গিয়েছিলাম রংপুর জেলার কমিউনিস্ট পার্টির প্রথম সম্পাদক কমরেড সুধীর মুখার্জির সঙ্গে। সেখানে তাঁর মেজো মেয়ে কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক প্রয়াত ড. সুলেখা মুখার্জির সঙ্গে দেখা। প্রথমেই জিজ্ঞেস করেছিলাম, তোমরা কেমন আছ? তিনি উত্তরে বলেছিলেন, ‘দেশত্যাগের আগে ধর্মীয় সংখ্যালঘু ছিলাম, এখানে অর্থনৈতিক সংখ্যালঘু। সংখ্যালঘুদের কোনো দেশ নেই
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত : প্রয়োজন বহুমুখী উদ্যোগ
’কথাগুলো খুব কঠিন, খুবই মর্মস্পর্শী। তিনি যখন দেশ ত্যাগ করে এসেছিলেন তখন তাঁর বাবা পাকিস্তানের জেলে আটক। পাকিস্তানের জন্মের আগে ব্রিটিশ বিরোধিতার কারণে জেলখানায় ঢুকেছিলেন, পাকিস্তান কায়েমেও তাঁর মুক্তি মেলেনি। তাঁর মা রানী মুখার্জিও ছিলেন তেভাগার নেত্রী
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত : প্রয়োজন বহুমুখী উদ্যোগ
তাঁর মা সন্তানসহ জীবন নিয়ে একবস্ত্রে দেশান্তরি হয়েছিলেন।আমাদের পূর্বপুরুষরা একটি অখণ্ড রাষ্ট্র চেয়েছিলেন, কিন্তু ব্রিটিশরা আমাদের দুটি রাষ্ট্র উপহার দেয়। আধুনিক যুগের পণ্য বিক্রয়ের মতো ‘একটি কিনলে আরেকটি ফ্রি’। এক দিনের আগে-পরে জোড়া রাষ্ট্রের জন্মের পর থেকেই এক রাষ্ট্র আরেক রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে লেগে থাকাকেই রাজনীতির প্রধান ঘুঁটি হিসেবে ব্যবহার করে আসছে
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত : প্রয়োজন বহুমুখী উদ্যোগ
সেই থেকে রাজনীতির নানা টানাপড়েনে প্রতিবেশীর সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক কখনো উষ্ণ, কখনো উত্তাল। ১৯৪৭ সালের বিভক্তির পর থেকেই যখনই সরকার বদলের সময় আসে ভোট চাপে তখনই সীমান্ত ও সংখ্যালঘুরা বিপদগ্রস্ত হয়ে পড়ে। সংখ্যালঘু বলতে শুধু এ দেশে হিন্দুরা নয়, ওপারে মুসলিমরা বিপদে পড়ে। ভোট এগোলেই ধর্মের বাহাস এবং ধর্মের অপব্যবহার করার পরিমাণ বেড়ে যায়
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত : প্রয়োজন বহুমুখী উদ্যোগ
টানা ৭৫ বছর ধরে নির্বাচনে ধর্ম অবিরাম ব্যবহৃত হয়ে আসছে এই উপমহাদেশে। একটি দেশ কয়েক টুকরায় পরিণত হয়েছে নেতাদের ভাগ-বাটোয়ারায়। আর সেটিকে জাস্টিফাই করতে ধর্মকে বর্ম হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে।চিরদিন একই পরিস্থিতি থাকতে পারে না
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত : প্রয়োজন বহুমুখী উদ্যোগ
রাষ্ট্র ও ব্যক্তি বিবর্তনের মধ্য দিয়ে তার দৃষ্টিভঙ্গি বদলায়। আমাদের বদলাতে হবে।পাক-ভারত যুদ্ধের ক্ষত না শুকাতেই একাত্তরের যুদ্ধ, এক কোটি শরণার্থী ভারতের মাটিতে আশ্রয় নিয়েছে। সেই ভারতই আমাদের আশ্রয় দিয়েছে, আহার জুগিয়েছে
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত : প্রয়োজন বহুমুখী উদ্যোগ
থাকার জায়গা দিয়েছে। এমনকি মারা গেলে সে দেশের মাটিতে কবর ও শ্মশান নিতে সহযোগিতা করেছে। গত ৩১ আগস্ট গুয়াহাটির সহকারী হাইকমিশনার ড. তানভীর মনসুরের প্রত্যক্ষ তদারকিতে শিলং শহরের একটি মুসলিম কবরস্থানে একাত্তরে ৫২ জন শহীদের স্মরণে একটি শিলালিপি স্থাপন করা হয়েছে। সেখানকার কবর ব্যবস্থাপনা কমিটি এই শিলালিপি নিজেদের আগ্রহে কবরস্থানের প্রধান ফটকের কাছেই স্থাপন করেছে
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত : প্রয়োজন বহুমুখী উদ্যোগ
শিলালিপিতে ইংরেজিতে লেখা হয়েছে—Here 52 martyrs of Bangladesh are laid in eternal peace who made supreme sacrifice for the independence of Bangladesh in 1971.এই কাজটি কিছুদিন আগেও অসম্ভব ছিল। সম্প্রতি কর্নেল সাজ্জাদ জহির (অব.) বীরপ্রতীকের নেতৃত্বে একটি দল একাত্তরের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে শিলংয়ের সেই কবরস্থানে যান। তাঁরা সেখানে একটি স্মৃতিস্তম্ভ তৈরির কথা বলেন। এরপর অল্প সময়ের মধ্যেই সেখানে একটি শিলালিপি স্থাপন করা একটি ইতিবাচক কাজ
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত : প্রয়োজন বহুমুখী উদ্যোগ
আমাদের উত্তরাঞ্চল ও আসামের মানুষের ভাষা প্রায় একই প্রকৃতির। আমাদের ভাওয়াইয়া, তাদের গোয়ালপুরী একই সুরে বাঁধা। অথচ আমরা পশ্চিমবঙ্গকে যে পরিমাণে অনুভব করেছি তার সিকি ভাগও আসাম-মেঘালয়কে নিয়ে ভাবনায় ছিল না। এ অঞ্চলে আমাদের সঙ্গে যে পরিমাণ বন্ধুত্ব হওয়ার কথা ছিল তা হয়নি, বরং ভারতের রাজনীতি এবং তাদের রাষ্ট্রীয় অখণ্ডতাকে বিনষ্ট করতে পারে এমন রাজনীতির সামরিক পাঠশালা গড়ে তোলা হয়েছিল আমাদের ভূখণ্ডে
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত : প্রয়োজন বহুমুখী উদ্যোগ
আমাদের রাষ্ট্রক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে একটি বিশেষ গোষ্ঠী ১০ ট্রাক অস্ত্র খালাস করেছিল, যার গন্তব্য ছিল ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলো। এ নিয়ে মামলা হয়েছে, তাতে জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতা মতিউর রহমান নিজামীসহ অনেকের সাজা হয়েছে। কারা কী উদ্দেশ্যে সন্ত্রাসবাদীদের হাতে অস্ত্র তুলে দেওয়ার রুট হিসেবে বাংলাদেশকে ব্যবহার করেছিল, সেটি এখন কারো অজানা নয়।১৯৭৫-এর পর ধর্মনিরপেক্ষতার নির্বাসন দেওয়া হয়
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত : প্রয়োজন বহুমুখী উদ্যোগ
বঙ্গবন্ধুর ঘাতকদের মৌলিক টার্গেটগুলোর মধ্যে এটিই প্রধান। ধর্মীয় রাজনীতির সুযোগ করে দেওয়া হলে একাত্তরের পরাজিত শক্তি নিজেদের বেপরোয়া বিকাশে মত্ত হয়ে ওঠে। তাদের মূল লক্ষ্যই হয় ধর্মীয় রাজনীতির বিকাশ এবং ভারত বিরোধিতার নামে সমাজে পাকিস্তানি ভাবধারার প্রসার ঘটানো। পর পর দুজন সামরিক জান্তার জবরদস্তিমূলক শাসন মৌলবাদী রাজনীতিকে শুধু পৃষ্ঠপোষকতাই দেয়নি, তাদের পুষ্টতাও দিয়েছে
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত : প্রয়োজন বহুমুখী উদ্যোগ
ধর্মনিরপেক্ষতাকে তারা ধর্মহীনতা এবং ধর্মচর্চার প্রতিবন্ধক হিসেবে হাজির করেছে। এই অনুষঙ্গগুলো আসাম-মেঘালয়ের মানুষের সঙ্গে আমাদের অবিশ্বাস তৈরি করে। ভারতীয় জনগণের সামনে বাংলাদেশ রাষ্ট্রটাকেই ভারতের বৈরী হিসেবে প্রতিভাত করা হয়। সমগ্র উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ভারতীয় জনগণের কাছে বাংলাদেশ একটি উগ্র মৌলবাদী রাষ্ট্র হিসেবে অভিধা পায়
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত : প্রয়োজন বহুমুখী উদ্যোগ
যার কারণে বাংলাদেশ নিয়ে একটা নেতিবাচক মনোভাব তাদের মনে গেঁথে আছে। এ জন্য অবশ্য ভারতের অভ্যন্তরীণ ধর্মভিত্তিক রাজনীতিকেও অস্বীকার করা যাবে না। এখানে মন্দিরে বা পূজারির ওপর হামলা হলে ওপারেও এর ঢেউ যায়, একই অবস্থা ওপারে মসজিদ আক্রান্ত হলে এপারেও তার ঢেউ লাগে।ঘটনাগুলো নিজস্ব সীমানায় হলেও এর প্রভাব রাষ্ট্রের সীমানা অতিক্রম করে
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত : প্রয়োজন বহুমুখী উদ্যোগ
আমাদের উচিত হবে নেতিবাচক বিষয়গুলো এড়িয়ে নিজেদের এগিয়ে নেওয়া। তিস্তায় জলের সীমাবদ্ধতা বাদ দিলে মোটামুটি পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে একটা গভীর সম্পর্ক রয়েছে। এরপরই গভীর সম্পর্ক হওয়ার কথা আসাম, মেঘালয়সহ প্রতিবেশী রাজ্যগুলোর সঙ্গে। কিন্তু সেটি প্রত্যাশায়ই সীমাবদ্ধ এখনো
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত : প্রয়োজন বহুমুখী উদ্যোগ
আমাদের দুই দেশের স্বার্থে শিক্ষা, সংস্কৃতি, বাণিজ্য, পর্যটন ও চিকিৎসা ঘিরে আসামের সঙ্গে নতুন করে ভাবনা-চিন্তা করা উচিত। কুড়িগ্রামের সোনাহাট স্থলবন্দরে সব অবকাঠামো নির্মিত হয়েছে, শুধু ইমিগ্রেশন শুরু হলে এটি বাংলাদেশ ও আসামের মধ্যে ব্যস্ততম ল্যান্ডপোর্ট হবে। বাংলাদেশ বা আসামে রৌমারী স্থলবন্দর দিয়ে ইমিগ্রেশন চালু হলে এটিও আসাম ও মেঘালয়ের জন্য সাশ্রয়ী রুট হবে। ব্রহ্মপুত্রে নৌ-বর্ডারহাট চালু, পাখিউড়া থেকে করিমগঞ্জ, রৌমারী-চিলমারী থেকে জিঞ্জিরাম নদী হয়ে ফুলবাড়িয়া পর্যন্ত নৌ-সার্ভিস চালু হলে পণ্যবিনিময় বাণিজ্যে দুই দেশের অনেক লাভ হবে
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত : প্রয়োজন বহুমুখী উদ্যোগ
কুড়িগ্রামে যে ইপিজেড হচ্ছে সেখানে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ব্যবসায়ীদের আমন্ত্রণ জানানো যেতে পারে। উভয় অঞ্চলের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ছাত্র ভর্তির সুযোগ তৈরি করা। আন্তঃসীমান্ত বাণিজ্য ও সাংস্কৃতিক বিনিময় করা। সীমান্তের পাশে যে দেশেরই চিকিৎসা সুবিধা থাকুক, প্রতিবেশী রাষ্ট্রের নাগরিকদের প্রবেশাধিকার দেওয়া
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত : প্রয়োজন বহুমুখী উদ্যোগ
যোগাযোগ সীমাবদ্ধতার আসাম, মেঘালয় বা কাছাকাছি রাজ্যগুলোর নাগরিকরা বাংলাদেশেও চিকিৎসাসেবা নিতে পারে, তার ব্যবস্থা করা। আমাদের অনেক হাসপাতাল আন্তর্জাতিক মানের। ভারতীয় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরাও এখানে কাজ করেন। উত্তর-পর্বাঞ্চলের নাগরিকরা চিকিৎসার জন্য এলে আমরাও আর্থিকভাবে লাভবান হব
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত : প্রয়োজন বহুমুখী উদ্যোগ
রংপুরসহ আশপাশের মেডিক্যাল কলেজগুলোতে বিপুলসংখ্যক ভারতীয় ছাত্র চিকিৎসাবিজ্ঞানে পড়ছেন। আসামের সঙ্গে সরাসরি স্থল ও বিমান যোগাযোগ চালু করা দরকার।১৫ আগস্ট আসামের গভর্নরের বাসভবনে চা চক্রে নিয়ে গিয়েছিলেন গুয়াহাটিতে বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনার ড. তানভীর মনসুর। সেখানে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে পরিচিত হই
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত : প্রয়োজন বহুমুখী উদ্যোগ
ড. মনসুরকে তিনি আবারও বাংলাদেশে যাওয়ার আগ্রহের কথা স্মরণ করিয়ে দেন। তিনি বেশ আগ্রহী বাংলাদেশ প্রশ্নে। অন্য অনেকের সঙ্গেই সেখানে কথা হলো, প্রত্যেকেই বাংলাদেশ সম্পর্কে আগ্রহী। এর বড় কারণ হচ্ছে, প্রায় দেড় দশকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদি বন্ধুত্বকে অনন্য উচ্চতায় নিয়েছেন
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত : প্রয়োজন বহুমুখী উদ্যোগ
পরস্পরের সার্বভৌমত্বকে শ্রদ্ধা দেখিয়েছেন। আমরা যে পরিমাণে পশ্চিমবঙ্গের দিকে নজর দিয়েছি, ঘনিষ্ঠতা দেখিয়েছি তার সিকি ভাগও যদি আসাম নিয়ে দেখানো যায়, তাহলে অনেক কিছুরই হিসাব পাল্টে যাবে। যে মানসিক দূরত্ব আছে, যতটুকু বাণিজ্যঘাটতি আছে, যোগাযোগের সীমাবদ্ধতা আছে তার সব কিছুরই সমাধান হতে পারে।মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে সীমান্তবর্তী জেলার কারাগাগুলোতে আটক উভয় দেশের বন্দি সাধারণ নাগরিক, যারা বিনা ভিসায় ভ্রমণসহ ছোট ছোট অপরাধের শিকার হয়েছে, তাদের নিজ নিজ দেশে ফেরানোর বিষয়সহ বন্ধুত্বপূর্ণ সীমান্ত কায়েমে করণীয় স্থির করবেন। সহজ যোগাযোগ, বৈধ পথে পারাপার এবং বাণিজ্য সীমান্তে শান্তি প্রতিষ্ঠায় কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।রাষ্ট্রের সীমারেখা থাকবে, কিন্তু প্রাণে ধ্বনিত হোক ড. ভূপেন হাজারিকার সেই অমর সুর ‘গঙ্গা আমার মা পদ্মা আমার মা’।লেখক : একুশে পদকপ্রাপ্ত আইনজীবী ও রাজনীতিক
এত আস্থা আগে ছিল না
তিন বছর পর ভারত সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দুই দেশের সম্পর্কের বাইরে এই সফরের রাজনৈতিক গুরুত্বও কম নয়। দুই প্রতিবেশীর সম্পর্কের অগ্রগতি ও গভীরতা নিয়ে গতকাল দিল্লিতে কালের কণ্ঠের সঙ্গে কথা বলেছেন ঢাকায় ভারতের সাবেক হাইকমিশনার বীণা সিক্রি। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মেহেদী হাসানকালের কণ্ঠ : আপনি ২০০৩ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০০৬-এর নভেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশে ভারতের হাইকমিশনার ছিলেন
এত আস্থা আগে ছিল না
সেই সময়ের তুলনায় এখন বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক কতটা বদলেছে?বীণা সিক্রি : আমি ঢাকা ছেড়েছি ১৫ বছরেরও বেশি সময় আগে। গত কয়েক বছরে দুই দেশের সম্পর্ক পুরোপুরি বদলে গেছে। অনেক উন্নতি হয়েছে। এখন আমাদের দুই দেশের নেতাদের মধ্যে আস্থা ও বিশ্বাস আছে
এত আস্থা আগে ছিল না
সম্পর্ক এগিয়েছে পারস্পরিক স্বার্থ, বিশ্বাস ও লাভের ভিত্তিতে।কালের কণ্ঠ : আগে কি বিশ্বাসের ঘাটতি ছিল?বীণা সিক্রি : এখন আমরা দুই দেশ একে অপরকে বিশ্বাস করি। এখান থেকে পেছনে ফেরার সুযোগ নেই। এখন আমরা দেখি বাংলাদেশের জন্য কোনটা ভালো, ভারতের জন্য কোনটা ভালো
এত আস্থা আগে ছিল না
এগুলো বিবেচনায় নিয়ে আমরা পারস্পরিক স্বার্থে কাজ করি। আমি মনে করি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘প্রতিবেশীই প্রথম’ নীতি এ ক্ষেত্রে খুবই প্রাসঙ্গিক। এটি আমাদের প্রতিবেশীদের লাভবান হওয়ার ক্ষেত্রে একটি শক্তিশালী নীতি।কালের কণ্ঠ : প্রতিবেশী হিসেবে ভারত কেমন?বীণা সিক্রি : আপনারা যদি এখন শ্রীলঙ্কার দিকে তাকান, দেখবেন আমরা দেশটির সংকট কাটাতে অনেক কাজ করছি
এত আস্থা আগে ছিল না
আমরা ভালো প্রতিবেশী।আজ বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পর্ক অনেক খাতে প্রবাহিত। তথ্য-প্রযুক্তি, পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা, সীমান্ত ব্যবস্থাপনা, বাণিজ্য, বিনিয়োগসহ সব খাত এখানে যুক্ত। ব্যাপকভাবে এগিয়ে যাচ্ছে এ সম্পর্ক
এত আস্থা আগে ছিল না
কালের কণ্ঠ : বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নয়াদিল্লি সফর করছেন। এ সফরকে আপনি কিভাবে দেখছেন?বীণা সিক্রি : তিন বছর বেশ লম্বা বিরতি। এই সময়ের মধ্যে কভিড মহামারিও ছিল। গত বছর বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী, বাংলাদেশের স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধ এবং আমাদের কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপিত হয়েছে
এত আস্থা আগে ছিল না
ভারতের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী—দুজনই ঢাকা সফর করেছেন। এটি কিন্তু সম্পর্কের গুরুত্বের বহিঃপ্রকাশ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিল্লি সফরের পর চার বছরে সম্পর্কের ব্যাপক অগ্রগতি হয়েছে। আমরা আরো অগ্রগতি দেখার অপেক্ষায় আছি
এত আস্থা আগে ছিল না
এবার প্রধানমন্ত্রীর সফরের আগে দুই দেশের যৌথ নদী কমিশনের বৈঠক হলো অনেক বছর পর। ইতিবাচক অগ্রগতিও হয়েছে। আমরা আশা করি, কুশিয়ারা নিয়ে সমঝোতা হবে।কালের কণ্ঠ : আমরা এখনো তিস্তা চুক্তি স্বাক্ষর করতে পারিনি
এত আস্থা আগে ছিল না
বীণা সিক্রি : আমি অবশ্যই বলব, তিস্তা নিয়ে আমাদের দুই দেশের মধ্যে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত হয়েছিল। কিন্তু কেন চুক্তিটি হচ্ছে না তা-ও আমরা জানি। সমস্যাটা পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের। তারা তিস্তা চুক্তি চায় না
এত আস্থা আগে ছিল না
তবে এখানে একটি বিষয় মনে রাখা প্রয়োজন, এখন কিন্তু তিস্তার পানিপ্রবাহের পুরোটাই বাংলাদেশে যাচ্ছে। পানিপ্রবাহের পরিমাণ যা-ই হোক।হ্যাঁ, বৈশ্বিক উষ্ণতাসহ বিভিন্ন কারণে পানির স্বল্পতা আছে। এটি শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, ভারতের জন্যও প্রযোজ্য
এত আস্থা আগে ছিল না
আমরা তিস্তার পানি অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছি না। চুক্তি না হলেও বাংলাদেশ তিস্তার পানির পুরোটাই পাচ্ছে।কালের কণ্ঠ : বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কে এখন বড় চ্যালেঞ্জ কোনটি?বীণা সিক্রি : সত্যি বলতে, এখন আর বড় কোনো চ্যালেঞ্জ নেই। আস্থার সংকট বা সন্দেহ—এগুলো অন্তত এখন নেই
এত আস্থা আগে ছিল না
এর ফল আমরা দেখতে পাচ্ছি। কানেক্টিভিটির ক্ষেত্রে দুই দেশ অনেক উদ্যোগ নিয়েছে। ভবিষ্যৎ বাণিজ্য সম্পর্ক বিবেচনায় নিয়ে দুই দেশ ‘সেপা’ নিয়ে অগ্রসর হতে চাইছে। এই সম্পর্ক মডেল সম্পর্ক
এত আস্থা আগে ছিল না
অন্য দেশগুলো আমাদের দুই দেশের সম্পর্ক অনুসরণ করতে পারে।কালের কণ্ঠ : জ্বালানি খাতে ভারত বাংলাদেশকে কিভাবে সহযোগিতা করতে পারে বলে আপনার মনে হয়?বীণা সিক্রি : অর্থনৈতিক ও জ্বালানি সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এসব খাতে আমাদের অবশ্যই কাজ করতে হবে। আমরা বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে এবং বিদ্যুৎ সরবরাহে সহযোগিতা করছি
এত আস্থা আগে ছিল না
বাংলাদেশ এখন রাশিয়ার তেল নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে। আমরা জানি, ভারত রাশিয়া থেকে তেল আমদানি করছে। আমরা এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করতে পারি। সহযোগিতার সুযোগ আছে
এত আস্থা আগে ছিল না
কালের কণ্ঠ : বাংলাদেশে নির্বাচন বা রাজনীতিতে ভারতের ভূমিকা বা সমর্থনের যে রাজনৈতিক আলোচনা তা কতটা সত্য?বীণা সিক্রি : আমি এমন ভাবনার সঙ্গে মোটেই একমত নই। রাজনীতি, নির্বাচন—এগুলো পুরোপুরি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এখানে ভারতের চাওয়া-পাওয়া, প্রত্যাশার কিছু নেই। বাংলাদেশের জনগণই এগুলো ঠিক করবে
এত আস্থা আগে ছিল না
আমরা, ভারত কোনোভাবেই এসব বিষয়ে নাক গলাই না। তবে আমরা আশা করি, বাংলাদেশের জনগণ সফল নির্বাচন পাবে।কালের কণ্ঠ : নিরাপত্তা খাতে এখন দুই দেশের মধ্যে যে সম্পর্ক, এর সঙ্গে আপনি হাইকমিশনার থাকার সময়ের কোনো পার্থক্য দেখতে পান?বীণা সিক্রি : নিরাপত্তা খাতে বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক খুব ভালো এখন। আগে, বিশেষ করে আমি যখন ছিলাম, তখন এ খাতে সহযোগিতা বেশ কঠিন ছিল
এত আস্থা আগে ছিল না
এখন সীমান্ত পরিস্থিতিও ভালো। আমরা সমন্বিত সীমান্ত ব্যবস্থাপনা বাস্তবায়ন করছি। কোনো সমস্যা হলে বিজিবি-বিএসএফ আলোচনা করে। সন্ত্রাসবিরোধী সমন্বিত সহযোগিতা আছে
এত আস্থা আগে ছিল না
আমরা এখন সন্ত্রাসীদের বিষয়ে তথ্য বিনিময় করি। গোয়েন্দা সংস্থাগুলো পরস্পরকে সহযোগিতা করছে। এটা সহযোগিতার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ খাত। এ কারণে শান্তি, নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতা এত ভালো পর্যায়ে আছে
এত আস্থা আগে ছিল না
সীমান্তে অবৈধ কর্মকাণ্ড ঘিরে দু-একটি ঘটনা ঘটে। এর বাইরে আমাদের দুই দেশের সীমান্ত কিন্তু খুব শান্ত।বাণিজ্য ও কানেক্টিভিটিতে পরিবর্তনগুলো অত্যন্ত ইতিবাচক। ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে বাংলাদেশের জন্য বিরাট সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে
এত আস্থা আগে ছিল না
চট্টগ্রাম বন্দর ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর জন্য উন্মুক্ত হয়েছে। এটি দুই পক্ষের জন্যই লাভজনক সুযোগ।কালের কণ্ঠ : আপনি যখন বাংলাদেশে ছিলেন তখন এই সহযোগিতার মাত্রা কেমন ছিল?বীণা সিক্রি : আমি স্মরণ করতে পারি, আমি যখন বাংলাদেশে ছিলাম তখন বাংলাদেশ-ভারত বাণিজ্য ছিল অনেক কম। যোগাযোগেও অনেক বাধা ছিল
এত আস্থা আগে ছিল না
এখন আপনারা পরিবর্তনটা দেখতে পাচ্ছেন। এতে বাংলাদেশও কিন্তু অনেক লাভবান হয়েছে। নিরাপত্তা সহযোগিতা, শিক্ষা, সংস্কৃতি, ভাষা, সাহিত্য—সব খাতে সহযোগিতা এখন অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। এই ইতিবাচক পরিবর্তন দেখে আমি আনন্দিত।কালের কণ্ঠ : সাক্ষাৎকারের জন্য সময় দেওয়ায় আপনাকে ধন্যবাদ।বীণা সিক্রি : কালের কণ্ঠকেও ধন্যবাদ।
কারওয়ান বাজার রেলগেট থেকে রিকশাকে উড়িয়ে নিয়ে গেল ট্রেন
কারওয়ান বাজার লেভেল ক্রসিং অতিক্রম করার সময় রেললাইনের মাঝখানে আটকে যাওয়া একটি রিকশাকে উড়িয়ে নিয়ে পাশে ফেলে দিয়েছে ট্রেন। হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যায় চালক ও আরোহী। রবিবার রাত সোয়া ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্যমতে, ট্রেন আসার সংকেত পেয়ে নামিয়ে দেওয়া হয় দুই দিকের গেট
কারওয়ান বাজার রেলগেট থেকে রিকশাকে উড়িয়ে নিয়ে গেল ট্রেন
কিন্তু লাইনের ফাঁকায় আটকে যায় একটি রিকশা। সে সময় এফডিসির দেয়াল ঘেঁষে একটি পুলিশভ্যান টহলরত অবস্থায় দাঁড়িয়েছিল। ভ্যান থেকে পুলিশ সদস্যরা নেমে দ্রুত যাত্রীকে নামিয়ে দেয় ও চালককে সরিয়ে নেয়। তাৎক্ষণিকভাবে রিকশাটিকেও টেনে সরানোর চেষ্টা করা হয়
কারওয়ান বাজার রেলগেট থেকে রিকশাকে উড়িয়ে নিয়ে গেল ট্রেন
কিন্তু ট্রেন চলে আসায় সম্ভব হয়নি।এ সময় কমলাপুরগামী একটি ট্রেন রিকশাটিকে উড়িয়ে নিয়ে সিগন্যাল কেবিনের পাশে ফেলে দেয়। রিকশার সামনের চাকা বিপরীতপাশে ছিটকে খাদে চলে যায়।প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, এটি একটি ব্যাটারিচালিত রিকশা ছিল, ফলে অল্পবয়সী কিশোরচালক রেললাইন অতিক্রম করতে পারছিল না
কারওয়ান বাজার রেলগেট থেকে রিকশাকে উড়িয়ে নিয়ে গেল ট্রেন
দুই লাইনের মাঝে চাকা আটকে যায়।পুলিশ সদস্য তাওফিক বলেন, রিকশা লাইনের মাঝে আটকে যাওয়ায় আমরা যাত্রী ও চালককে সরিয়ে দেই এবং রিকশাটিকে সরানোর চেষ্টা করি, এর মধ্যেই ট্রেন চলে আসে। তবে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি।রিকশাচালকের নাম শাহীন। তার বয়স ১৪ বলে জানায়। কদিন আগে কুমিল্লা থেকে এসে মালিকের কাছ থেকে রিকশাটি নিয়ে চালাচ্ছিল।
মোংলায় ৫৫ মেগাওয়াট বায়ু বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে চুক্তি সই
বাগেরহাটের মোংলায় নিজস্ব পরিচালনার ভিত্তিতে ৫৫ মেগাওয়াট একটি বায়ু বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে বাংলাদেশ-চায়না কনসোর্টিয়ামের সঙ্গে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) একটি চুক্তি সই অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রস্তাবিত চুক্তি অনুযায়ী, রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান বিপিডিবি স্বতন্ত্র বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র থেকে ২০ বছর বিদ্যুৎ কিনবে।রবিবার (৪ সেপ্টেম্বর) এ চুক্তি সই হয়। আনুষ্ঠানে জানানো হয়, বর্তমানে দেশে বায়ু থেকে ২৯ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা করা হচ্ছে
মোংলায় ৫৫ মেগাওয়াট বায়ু বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে চুক্তি সই
৩টি প্রকল্পের মাধ্যমে ১৪৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের কাজ চলমান এবং আরও ৫টি প্রকল্পের অধীনে ২৩০ মেগাওয়াট বায়ু বিদ্যুৎ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।ক্রয় চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে ছিলেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তিনি বলেন, বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানির অন্যতম উৎস হিসেবে বায়ুর আকার দিনে দিনে আরো বড় হবে। উপকূলীয় অঞ্চলসহ দেশের ৯টি স্থানে বায়ু বিদ্যুতের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের উদ্দেশ্য বায়ু প্রবাহের তথ্য উপাত্ত (ডাটা) সংগ্রহ করে ও উইন্ড ম্যাপিং কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে
মোংলায় ৫৫ মেগাওয়াট বায়ু বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে চুক্তি সই
সার্বিক উপযুক্ততা যাচাই করে বায়ু বিদ্যুৎ প্রকল্প গ্রহণ করা হবে।প্রতিমন্ত্রী বলেন, আজকে বাগেরহাট মংলায় স্থাপিত হতে যাওয়া ৫৫ মেগাওয়াট বায়ু বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের চুক্তি স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ নবায়নযোগ্য জ্বালানির পথে আরো একধাপ এগিয়ে গেল। পরিবেশ রক্ষার পাশাপাশি এধরণের প্রকল্প বাংলাদেশের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতেও শক্তিশালী ভূমিকা রাখবে।আমেরিকার ন্যাশনাল রিনিউএ্যবল এনার্জি ল্যাবরেটরি (এনআরইএল) প্রদত্ত প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে দেখা যায়, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা বিশেষত খুলনার দাকোপ, চট্টগ্রামের আনোয়ারা এবং চাঁদপুরের নদী মোহনার এলাকাসমূহে ১০০ মিটার উচ্চতায় বাতাসের গড়বেগ ৬ মিঃ/সেঃ এর বেশি যা বায়ু বিদ্যুৎ উৎপাদনে অত্যন্ত সম্ভাবনাময়