text
stringlengths
11
126k
title
stringlengths
1
182
নেত্রকোণা সদর উপজেলা বাংলাদেশের নেত্রকোণা জেলার একটি প্রশাসনিক এলাকা। অবস্থান এই উপজেলার উত্তরে দুর্গাপুর উপজেলা ও কলমাকান্দা উপজেলা, দক্ষিণে কেন্দুয়া উপজেলা ও গৌরীপুর উপজেলা, পূর্বে বারহাট্টা উপজেলা ও আটপাড়া উপজেলা, পশ্চিমে পূর্বধলা উপজেলা। প্রশাসনিক এলাকা নেত্রকোণা সদর উপজেলায় বর্তমানে ১টি পৌরসভা ও ১২টি ইউনিয়ন রয়েছে। সম্পূর্ণ উপজেলার প্রশাসনিক কার্যক্রম নেত্রকোণা সদর থানার আওতাধীন। পৌরসভা: নেত্রকোণা ইউনিয়নসমূহ: ১নং মৌগাতি ২নং মেদনী ৩নং ঠাকুরাকোণা ৪নং সিংহের বাংলা ৫নং আমতলা ৬নং লক্ষ্মীগঞ্জ ৭নং কাইলাটি ৮নং দক্ষিণ বিশিউরা ৯নং চল্লিশা ১০নং রৌহা ১১নং কালিয়ারা গাবরাগাতি ১২নং মদনপুর ইতিহাস ১৭৬৪ সনে শুরু হয় ঐতিহাসিক ফকির বিদ্রোহ। এই ফকির বিদ্রোহের ঢেউ দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়ে নেত্রকোণা অঞ্চলে। নেত্রকোণায় ফকির বিদ্রোহ পরিশেষে টিপু শাহ পাগলের নামানুসারে পাগলপন্থী বিদ্রোহরূপে খ্যাত হয়ে উঠে। পাগলপন্থী পীর করম শাহ পাগলের অসংখ্য শিষ্য ছিল গারো-হাজং জনগোষ্ঠীর লোক। তার স্ত্রী ব্রাহ্মনকন্যা সন্ধি দেবী ইসলাম ধর্ম গ্রহণপূর্বক সন্ধি বিবি নাম ধারণ করে করম শাহ পাগলের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের সন্তান টিপু পাগল। ফকির বিদ্রোহ-পাগল বিদ্রোহের এক মহান ক্ষেত্র ছিল নেত্রকোণা। সপ্তদশ শতকের শেষভাগে নাটোরকোণায় বিদ্রোহ দমনকল্পে জমিদারদের সহায়তা প্রদানের নিমিত্ত স্থাপিত হয় একটি পুলিশ ফাঁড়ি বা চৌকি। কথিত আছে পাগলপন্থী বিদ্রোহীরা এই ফাঁড়িটি লন্ঠণ করে নিয়ে গেলে ফাঁড়ির কর্মকর্তা/কর্মচারীগণ আত্ম রক্ষার্থে চলে আসে বর্তমান নেত্রকোণা সদর থানা কার্যালয় ভবনে। কিন্তু বর্তমান নেত্রকোণা ছিল আদিকালে সাতপাই মৌজাস্থ কালীমন্দির কেন্দ্রীক কালীগঞ্জ বাজার নামক স্থানে। পুলিশ ফাঁড়িটি কালীগঞ্জ বাজারে স্থানান্তরিত হয়ে গেলেও কাগজে-কলমে থেকে যায় নাটোরকোণা, ইংরেজদের সাহেবী উচ্চারণে হয়ে যায় নেত্রকোণা। পরবর্তীতে এই নেত্রকোণা নামানুসারে ১৮৮২ সনে নেত্রকোণা মহকুমা এবং ১৯৮৪ সনে নেত্রকোণা জেলা প্রতিষ্ঠিত হয়।নদী-নালা, খাল-বিল, হাওর-বাওর, বন-জঙ্গলের জনপদ ছিল সমগ্র নেত্রকোণা। লোক সাহিত্য সংগ্রাহক ও গবেষকদের মতে পূর্ব ময়মনসিংহ হলো লোক ও সাহিত্য সংস্কৃতির এক তীর্থ ভূমি। নেত্রকোণার সন্তান চন্দ্র কুমার দে সংগৃহীত এবং ড. দীনেশ চন্দ্র সেন সম্পাদিত বিশ্ব নন্দিত গ্রন্থ মৈমনসিংহ গীতিকা প্রকাশের পর থেকে পূর্ব ময়মনসিংহকে অনেক গবেষক মৈমনসিংহ গীতিকা অঞ্চল বলেও চিহ্নিত করে থাকেন। এই মৈমনসিংহ গীতিকা অঞ্চলের সীমানা চিহ্নিত করা হয়-উত্তরে গারো পাহাড়, দক্ষিণে মেঘনা, যমুনা সঙ্গমস্থল, পশ্চিমে ব্রহ্মপুত্র নদ এবং পূর্বে সুরমা কুশিয়ারা নদী। এই মৈমনসিংহ গীতিকা অঞ্চলের লোক সাহিত্য সংস্কৃতি, ভোগলিক ও ঐতিহাসিক বিচার-বিশ্নেষণের কেন্দ্র বিন্দু হলো নেত্রকোণা সদর থানা। ১৯৩৮ সনে নেত্রকোণা পূর্ণাঙ্গ থানা হিসেবে গঠিত হয়েছিল। কাগজে-কলমে নাটেরকোণা ইংরেজদের সাহেবী উচ্চারণে হয়ে যায় নেত্রকোণা। রাজধানী ঢাকা শহর থেকে সড়কপথে ১৬০ কিঃমিঃ দূরে দেশের উত্তর পূর্ব কোণে অবস্থিত নেত্রকোণা সদর উপজেলা। ময়মনসিংহ জেলা সদর থেকে ৪০ কিঃমিঃ দূরে নেত্রকোণা শহরের প্রাণকেন্দ্রে উপজেলা কমপ্লেক্স অবস্থিত। ঐতিহাসিক ঘটনাবলি ১৯৩৯ সালের ১৫ মার্চ নেত্রকোণা সদরের মেথরপট্টি মাঠে নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু এক জনসভায় বক্তৃতা করেন। ১৯৪৫ সালের ৮, ৯ ও ১০ এপ্রিল নেত্রকোণা পাড়ার মাঠে সর্বভারতীয় কৃষক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৭১ সালের ২৯ এপ্রিল পাকবাহিনী সদরের ৪ জনকে ধরে নিয়ে পূর্বধলা সড়কের ত্রিমোহনী ব্রিজে গুলি করে হত্যা করে। ৯ ডিসেম্বর নেত্রকোণা সদরে পাকবাহিনীর সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের লড়াইয়ে ৩ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। এ উপজেলার কৃষিফার্মে মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে পাকবাহিনীদের লড়াইয়ে পাকসেনারা পরাজিত হয় এবং ২ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। জনসংখ্যার উপাত্ত মোট:- ৩,৪৯,৫০০ জন শিক্ষা সার্বিক শিক্ষার হার-৪৪.০৪% প্রাথমিক বিদ্যালয় - সরকারী - ৯৪টি বেসরকারি - ৮৩টি নন রেজিঃ বেসরকারী - ২টি এবতেদায়ী মাদ্রাসা - ৩৭টি কিন্ডার গার্টেন - ১২টি মাদরাসা - ১৭টি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় - ১২টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় - ৩২টি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ - ৪টি কলেজ - ৫টি পাঠাগার - ১৭টি বইয়ের দোকান - ১৬টি কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র - ৫টি পিটিআই - ১টি অর্থনীতি উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব রশিদ উদ্দিন (১৮৮৯ -১৯৬৪);বাহিরচাপড়া, নেত্রকোণা সদর। প্রখ্যাত বাউল শিল্পী ও সাধক পুরুষ। মুজীবুর রহমান খাঁ (১৯১০ -১৯৮৪); উলুয়াটি, নেত্রকোণা। প্রখ্যাত সাংবাদিক ও সাহিত্যিক। ঐতিহ্য নেত্রকোণা জেলার ঐতিহ্যবাহী মিষ্টান্নের নাম বালিশ মিষ্টি; যা নেত্রকোণার প্রায় সকল মিষ্টির দোকানে পাওয়া যায়। বিশেষ করে বারহাট্টা রোডের গয়নাথ মিষ্টান্নভান্ডারই এই মিষ্টির জন্মস্থান। দর্শনীয় স্থান অধ্যাত্মিক পুরুষ হযরত শাহ সুলতান কমর উদ্দিন রুমী এর মাজার। আলী হোসেন শাহ্‌ এর মাজার। বিরিশিরি গারো পাহাড় দুর্গাপুর তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ হুমায়ূন আহমেদ, নির্মলেন্দু গুন, যতীন সরকার, বারী সিদ্দিকী, কমরেড মণি সিংহ, ভিরাইম্যা, হেলাল হাফিজ, মুহাম্মদ রিংকন মন্ডল রিংকু বিষয়শ্রেণী:নেত্রকোণা সদর উপজেলা
নেত্রকোণা সদর উপজেলা
আরবি ভাষা (, আল্-ʿআরবিয়্যাহ্ বা ʻআরবিয়্য্) সেমেটীয় ভাষা পরিবারের জীবন্ত সদস্যগুলির মধ্যে বৃহত্তম। এটি একটি কেন্দ্রীয় সেমেটীয় ভাষা এবং হিব্রু ও আরামীয় ভাষার সাথে এ ভাষার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক আছে। আধুনিক আরবিকে একটি "ম্যাক্রোভাষা" আখ্যা দেয়া হয়; এর ২৭ রকমের উপভাষা ISO 639-3-তে স্বীকৃত। সমগ্র আরব বিশ্ব জুড়ে এই উপভাষাগুলি প্রচলিত এবং আধুনিক আদর্শ আরবি ইসলামী বিশ্বের সর্বত্র পড়া ও লেখা হয়। আধুনিক আদর্শ আরবি চিরায়ত আরবি থেকে উদ্ভূত। মধ্যযুগে আরবি গণিত, বিজ্ঞান ও দর্শনের প্রধান বাহক ভাষা ছিল। বিশ্বের বহু ভাষা আরবি থেকে শব্দ ধার করেছে। ইতিহাস ইসলামের আবির্ভাবের ঠিক আগের যুগে আরব উপদ্বীপে আরবি ভাষার উৎপত্তি ঘটে। প্রাক-ইসলামী আরব কবিরা যে আরবি ভাষা ব্যবহার করতেন, তা ছিল অতি উৎকৃষ্ট মানের। তাদের লেখা কবিতা মূলত মুখে মুখেই প্রচারিত ও সংরক্ষিত হত। আরবি ভাষাতে সহজেই বিজ্ঞান ও শিল্পের প্রয়োজনে নতুন নতুন শব্দ ও পরিভাষা তৈরি করা যেত এবং আজও তা করা যায়। ইসলামের প্রচারকেরা ৭ম শতাব্দীতে আরব উপদ্বীপের সীমানা ছাড়িয়ে এক বিশাল আরব সাম্রাজ্য গড়তে বেরিয়ে পড়েন এবং প্রথমে দামেস্ক ও পরে বাগদাদে তাদের রাজধানী স্থাপন করেন। এসময় ভূমধ্যসাগরের তীরবর্তী এক বিশাল এলাকা জুড়ে আরবি প্রধান প্রশাসনিক ভাষা হিসেবে ব্যবহার করা হত। ভাষাটি বাইজেন্টীয় গ্রিক ভাষা ও ফার্সি ভাষা থেকে ধার নিয়ে এবং নিজস্ব শব্দভাণ্ডার ও ব্যাকরণ পরিবর্তন করে আরও সমৃদ্ধ হয়ে ওঠে। ৯ম ও ১০ম শতকে বাগদাদে এক মহান বুদ্ধিবৃত্তিক আন্দোলন সম্পন্ন হয়। সেসময় বিশ্বের অপরাপর প্রাচীন ভাষা, বিশেষত গ্রিক ভাষার বহু প্রাচীন বৈজ্ঞানিক ও দার্শনিক লেখা আরবিতে অনুবাদ করা হয়। এগুলিতে আবার আরবি চিন্তাবিদেরা নিজস্ব চিন্তা সংযোজন করেন। পরবর্তীতে আরব স্পেনে এই জ্ঞানচর্চাই ইউরোপে মধ্যযুগের অবসান ঘটিয়ে রেনেসাঁসের সূচনা করেছিল। আরবিই ছিল ১১শ শতকে মনুষ্য জ্ঞানভাণ্ডারের বাহক ভাষা এবং এই দৃষ্টিকোণ থেকে প্রাচীন গ্রিক ও লাতিনের উত্তরসূরী। আরব সভ্যতা বলতে কেবল আরব জাতি বা ইসলামকে বোঝায় না; এই ভাষার মহিমা এই যে বিভিন্ন জাতি ও গোষ্ঠীর মানুষকে এটি আকৃষ্ট করেছিল। বিস্তীর্ণ আরব সাম্রাজ্যের নানা জাতের মানুষ আরবি ভাষার ছায়ায় এক বৃহত্তর সমৃদ্ধিশীল আরব সভ্যতার অংশ হিসেবে একতাবদ্ধ হয়েছিল। ৮ম শতক থেকে ১২শ শতক পর্যন্ত সংস্কৃতি, কূটনীতি, বিজ্ঞান ও দর্শনের সার্বজনীন ভাষা ছিল আরবি। ঐ সময়ে যারা আরিস্তোতল পড়তে চাইত, বা চিকিৎসাবৈজ্ঞানিক পরিভাষা ব্যবহার করতে চাইত, বা গাণিতিক সমস্যার সমাধান খুঁজত, বা যেকোন ধরনের বুদ্ধিবৃত্তিক আলোচনায় অংশ নিতে চাইত, তাদের জন্য আরবির জ্ঞান ছিল অপরিহার্য। আরবি ভাষা সেমেটীয় গোত্রের ভাষাসমূহের অন্তর্গত একটি ভাষা। অন্যান্য জীবিত সেমিটীয় ভাষাগুলির মধ্যে রয়েছে আধুনিক হিব্রু ভাষা (ইসরায়েলের ভাষা), আমহারীয় ভাষা (ইথিওপিয়ার ভাষা), এবং ইথিওপিয়ায় প্রচলিত অন্যান্য ভাষা। মৃত সেমিটীয় ভাষাগুলির মধ্যে আছে ধর্মগ্রন্থ তোরাহ-র প্রাচীন হিব্রু ভাষা, আক্কাদীয় ভাষা (ব্যাবিলনীয় ও আসিরীয়), সিরীয় ভাষা ও ইথিওপীয় ভাষা। সব সেমেটীয় ভাষারই একটি প্রধান বৈশিষ্ট্য হল ব্যঞ্জন দিয়ে গঠিত ধাতুরূপ বা শব্দমূল। সাধারণত তিনটি ব্যঞ্জন নিয়ে একটি মূল গঠিত হয় এবং প্রতিটির একটি মূল অর্থ থাকে। তারপর এই মূলকে বিভিন্নভাবে পরিবর্তন করে (স্বরবর্ণ যোগ করে, উপসর্গ-মধ্যসর্গ-অন্ত্যপ্রত্যয় বসিয়ে) অন্যান্য কাছাকাছি অর্থের শব্দ সৃষ্টি করা হয়। উদাহরণস্বরূপ নেয়া যাক আরবি "সালিম" মূলটি, যার অর্থ নিরাপদ (আরও সঠিকভাবে সালিম মানে সে (পুরুষ) নিরাপদ ছিল।) এখান থেকে আমরা পাই সাল্লাম (সরবরাহ করা), আসলামা (সমর্পণ করা, জমা দেওয়া), ইস্তালামা (গ্রহণ করা), ইস্তাস্তালামা (আত্মসমর্পণ করা), সালামুন (শান্তি), সালামাতুন (নিরাপত্তা) এবং মুসলিমুন (মুসলিম)। এই বৈশিষ্ট্যের কারণে আরবি ভাষার শিক্ষার্থী সহজেই আরবি শব্দভাণ্ডারের জ্ঞান বৃদ্ধি করতে পারেন। আরবিকে সাধারণত ধ্রুপদী আরবি, আধুনিক লেখ্য আরবি এবং আধুনিক কথ্য বা চলতি আরবি --- এই তিন শ্রেণীতে বিভক্ত করা হয়। ধ্রুপদী আরবি ৬ষ্ঠ শতক থেকে প্রচলিত ও এতেই কুরআন শরীফ লেখা হয়েছে। আল-মুতানাব্বি ও ইবন খালদুন ধ্রুপদী আরবির বিখ্যাত কবি। আধুনিক লেখ্য আরবিতে আধুনিক শব্দ যোগ হয়েছে ও অতি প্রাচীন শব্দগুলি বর্জন করা হয়েছে, কিন্তু এ সত্ত্বেও ধ্রুপদী আরবির সাথে এর পার্থক্য খুব একটা বেশি নয়। আরবি সংবাদপত্র ও আধুনিক সাহিত্য আধুনিক লেখ্য আরবিতেই প্রকাশিত হয়। তাহা হুসাইন ও তাওফিক আল হাকিম আধুনিক লেখ্য আরবির দুই অন্যতম প্রধান লেখক ছিলেন। লিখন পদ্ধতি আরবি লিপি ডান থেকে বাম দিকে লেখা হয়। ২৯টি বর্ণ বা হরফের এই লিপিতে কেবল ব্যঞ্জন ও দীর্ঘ স্বরধ্বনি নির্দেশ করা হয়। আরবিতে বড় হাতের ও ছোট হাতের অক্ষর বলে কিছু নেই। আরবি লিপি এক অক্ষরের সাথে আরেক অক্ষর পেঁচিয়ে লেখা হয়। প্রতিটি বর্ণের একাধিক রূপ আছে, যে রূপগুলি বর্ণটি শব্দের শুরুতে, মাঝে, শেষে নাকি আলাদাভাবে অবস্থিত, তার উপর নির্ভর করে। কতগুলি বর্ণ একই মূল রূপের উপর ভিত্তি করে লেখা হয় এবং বিন্দুর সংখ্যা দিয়ে একে অপরের থেকে পৃথক করা হয়। আরও দেখুন আরবি লিপি আরবি ব্যাকরণ তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ আরবি ভাষার উপর এথনোলগ রিপোর্ট বিষয়শ্রেণী:ভাষা বিষয়শ্রেণী:কেন্দ্রীয় সেমিটীয় ভাষা বিষয়শ্রেণী:জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা বিষয়শ্রেণী:ইরানের ভাষা
আরবি ভাষা
মারাঠি (মারাঠি ভাষায়: मराठी) একটি ইন্দো-আর্য ভাষা। এটি হিন্দি ও বাংলার সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কযুক্ত। ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় মহারাষ্ট্র রাজ্যের প্রায় ৭ কোটি অধিবাসী এই ভাষায় কথা বলেন। মহারাষ্ট্রের বাইরে আরও প্রায় ৩০ লক্ষ লোক এ ভাষায় কথা বলেন। ভাষাভাষী সংখ্যার বিচারে ভারতের ভাষাগুলির মধ্যে মারাঠি তৃতীয়। বিস্তার ভারতের বাইরে ইসরায়েল ও মরিশাস এ এটি প্রচলিত। বাংলা ভাষার মত মারাঠি ভাষার সাহিত্যও সুপ্রাচীন; দশম শতকে লেখা মারাঠি সাহিত্যের নিদর্শন পাওয়া গেছে। মারাঠি সংস্কৃত ভাষা থেকে মহারাষ্ট্রী প্রাকৃতের মধ্য দিয়ে উদ্ভূত হয়েছে। মহারাষ্ট্রী প্রাকৃত ভাষা খ্রিস্টীয় ১ম ও ২য় শতকে সাতবাহন রাজ্যের সরকারি ভাষা ছিল। তখন এটিই ছিল ভারতের সবচেয়ে বহুল প্রচলিত প্রাকৃত ভাষা। ১৫শ ও ১৬শ শতকে এসে এই ভাষা বর্তমান মারাঠিতে রূপ নেয়। স্বীকৃতি মারাঠি ভারতের ২২টি সরকারি ভাষার ও ১৪টি আঞ্চলিক ভাষার একটি। এছাড়া গোয়া রাজ্যতে কোঙ্কণী ভাষার পাশাপাশি মারাঠিকেও সরকারি ভাষার মর্যাদা দেয়া হয়েছে। মহারাষ্ট্রের দৈনন্দিন যোগাযোগ, শিক্ষা, প্রশাসন, ব্যবসা, গণমাধ্যম ইত্যাদিতে এই ভাষাই প্রচলিত। লিখন পদ্ধতি তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:দক্ষিণ ইন্দো-আর্য ভাষাসমূহ বিষয়শ্রেণী:ভারতের সরকারি ভাষাসমূহ
মারাঠি ভাষা
কন্নড় (কন্নড় ভাষায়: ಕನ್ನಡ কন্নড়) ভারতের ২২টি সরকারী ভাষার একটি। এটি কর্ণাটক রাজ্যের সরকারি ভাষা এবং এই রাজ্যের প্রায় সাড়ে তিন কোটি লোক এই ভাষায় কথা বলেন। এছাড়াও এটি অন্ধ্র প্রদেশ, তামিলনাড়ু ও মহারাষ্ট্রে প্রচলিত। মাতৃভাষী ও দ্বিতীয় ভাষাভাষীর সংখ্যা মিলিয়ে কন্নড়-ভাষীর সংখ্যা প্রায় ৪ কোটি ৩৭ লক্ষ। কন্নড়ের আদিতম শিলালিপি ৪৫০ খ্রিষ্টাব্দের, আর এতে সাহিত্য রচনা শুরু হয় ৮৫০ খ্রিষ্টাব্দ নাগাদ। কন্নড়ের প্রাথমিক উন্নতি তামিল ও তেলুগু ভাষার সাথে তুলনীয়। পরবর্তী শতাব্দীগুলোতে কন্নড় সংস্কৃত ভাষার শব্দভাণ্ডার ও সাহিত্যিক ধারার প্রভাবাধীন হয়। কন্নড় ভাষার মৌখিক ও লিখিত রূপের মধ্যে যথেষ্ট বৈসাদৃশ্য আছে। কথ্য কন্নড়ের অনেকগুলি আঞ্চলিক উপভাষা আছে, কিন্তু এর লিখিত রূপ প্রায় সবজায়গাতেই একই রকম। চলিত কন্নড়ের তিনটি উপভাষা সামাজিক শ্রেনীভিত্তিক: ব্রাহ্মণ, অ-ব্রাহ্মণ, এবং অস্পৃশ্য। তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ বিষয়শ্রেণী:ভারতের সরকারি ভাষাসমূহ বিষয়শ্রেণী:দ্রাবিড় ভাষাসমূহ বিষয়শ্রেণী:ভারতের ভাষা বিষয়শ্রেণী:কন্নড় ভাষা
কন্নড় ভাষা
অরমো ভাষা ( or ; ইথিওপিয়ার বেশির ভাগ এলাকায় ও কেনিয়ার উত্তরাংশে প্রচলিত একটি কুশিটীয় ভাষা। এটি আফান অরমো এবং অরমিফ্‌ফা নামেও পরিচিত। এটি আফ্রিকার ৩য় সর্বাধিক ভৌগোলিক ব্যাপ্তিবিশিষ্ট ভাষা; আরবি ও হাউসা ভাষার পরেই এর অবস্থান। ১৬শ শতকের পর থেকে অরমো ভাষাভাষী লোকেরা ইথিওপীয় উচ্চভূমি থেকে আফ্রিকার দূরদূরান্তে ছড়িয়ে পড়ে। এই বিস্তার সত্ত্বেও ইথিওপিয়ার ভেতরের ও বাইরের অরমোভাষীরা সহজেই একে অপরকে বুঝতে পারেন। ফেডারেল ওয়েবসাইটসমূহের ইন্টারনেট ভাষা হিসেবে ট্রাইগ্রিনিয়ার সাথে অরোমো ভাষাও ব্যবহার করা হয়। মর্যাদা ইথিওপিয়া ও কেনিয়ার প্রায় আড়াই কোটি লোকের মাতৃভাষা অরমো ভাষা। ২০শ শতকে এসে আধিপত্য বিস্তারকারী আমহারা জাতির লোকদের কাছে অরমোরা রাজনৈতিক ও সামাজিক নিপীড়নের শিকার হয়। প্রথমে হেইলে সেলাসির শাসনামলে এবং পরবর্তীতে তাকে উৎখাতকারী সমাজতান্ত্রিক শাসনের সময়েও শিক্ষা, গণমাধ্যম এবং জনজীবনে অরমো ভাষার ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়। তবে বর্তমানে অরমোরা আবার নিজ ভাষায় কথা বলতে পারছেন। অরমোভাষী অঞ্চলগুলিতে স্কুলে শিক্ষার মাধ্যম হিসেবে অরমোর প্রচলন হয়েছে। ইথিওপিয়ার উত্তরাংশ বাদে বাকী এলাকায় অরমো একটি সার্বজনীন ভাষা বা লিংগুয়া ফ্রাংকা। অরমোভাষীর সঠিক সংখ্যা অনির্ণীত। তবে ধারণা করা হয় ইথিওপিয়ার প্রায় অর্ধেক লোকই অরমো, যদিও ভাষাটির কোন সরকারি মর্যাদা নেই। ধ্বনি ব্যবস্থা স্বরধ্বনি অরমো ভাষাতে পাঁচটি স্বরধ্বনি আছে: /i/, /e/, /a/, /o/, /u/। এগুলি হ্রস্ব বা দীর্ঘ হতে পারে। স্বরের দৈর্ঘ্যর তারতম্য অর্থের পরিবর্তন ঘটাতে পারে। লেখার সময় দীর্ঘস্বরগুলিকে পরপর দুইটি স্বরবর্ণ দিয়ে প্রকাশ করা হয়। যেমন laga "নদী" এবং laagaa "মুখগহ্বরের ছাদ"। ব্যঞ্জনধ্বনি অরমো ভাষাতে ২৪টি ব্যঞ্জনধ্বনি আছে। b, d, dh, g, l, m, n, এবং r ধ্বনিগুলির দ্বিত্ব হতে পারে। লেখার সময় দ্বিত্বব্যঞ্জনগুলি পরপর দুইটি ব্যঞ্জন লিখে বোঝানো হয়। যেমন damee "শাখা," কিন্তু dammee "মিষ্টি আলু"। নিকট প্রতিবেশী ভাষা সোমালি ভাষার মত অরমো ভাষার স্থানীয় শব্দেও/p/,/v/, এবং/z/ধ্বনিগুলি নেই। এই ধ্বনিগুলি কেবল বিদেশী কৃতঋণ শব্দে পাওয়া যায়। কন্ঠনালীয় স্পর্শধ্বনি একটি উদ্ধৃতিচিহ্ন বা অ্যাপস্ট্রফি দিয়ে লেখা হয়। ধ্বনিদলের আকার অরমো ভাষার বেশির ভাগ ধ্বনিদল উন্মুক্ত, অর্থাৎ এগুলি স্বরধ্বনিতে সমাপ্ত হয়। সুর অরমো ভাষা একটি সুরপ্রধান ভাষা। অন্যান্য সুরপ্রধান ভাষা যেমন চীনা ভাষার চেয়ে এর সুরব্যবস্থা ভিন্ন। অরমোর সুর-স্বরাঘাত ব্যবস্থা মূলত ব্যাকরণ ও অধিবাচনিক পর্যায়ে রূপায়িত। ভিন্ন ভিন্ন সুর দিয়ে ব্যাকরণিক ক্যাটেগরি এবং তথ্য কাঠামো নির্দেশ করা হয়, শব্দের অর্থের পার্থক্য নির্দেশের জন্য সুর ব্যবহার করা হয় না। লিখন পদ্ধতিতে সাধারণত সুরগুলি চিহ্নিত থাকে না। লিখন পদ্ধতি ১৯৭০-এর দশক পর্যন্ত অরমো ভাষা ইথিওপীয় লিপিতে কিংবা লাতিন লিপিতে লেখা হত। ১৯৭৪ থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত সামরিক জান্তা ভাষাটি লেখা নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। সামরিক শাসনের অবসানের পর ১৯৯১ সালে আবার লাতিন লিপিতে ভাষাটি লেখা শুরু হয়। বহিঃসংযোগ অরমো ভাষার উপর এথনোলগ রিপোর্ট বিষয়শ্রেণী:ভাষা বিষয়শ্রেণী:পূর্ব কুশিটীয় ভাষা বিষয়শ্রেণী:ইথিওপিয়ার ভাষা বিষয়শ্রেণী:কেনিয়ার ভাষা বিষয়শ্রেণী:অরমো জাতি
অরমো ভাষা
স্লোভাকিয়া মধ্য ইউরোপের একটি স্থলবেষ্টিত প্রজাতান্ত্রিক রাষ্ট্র। স্লোভাকিয়ার উত্তর-পশ্চিমে চেক প্রজাতন্ত্র, উত্তরে পোল্যান্ড, পূর্বে ইউক্রেন, দক্ষিণে হাঙ্গেরি এবং দক্ষিণ-পশ্চিমে অস্ট্রিয়া। এর রাজধানী ও বৃহত্তম শহর ব্রাতিস্লাভা। দেশটির জনসংখ্যা পঞ্চাশ লাখ। ১০ম শতাব্দী থেকে ১৯১৮ সাল পর্যন্ত স্লোভাকিয়া হাঙ্গেরির অংশ ছিল। ১৯১৮ সালে এটি চেক অঞ্চল বোহেমিয়া ও মোরাভিয়ার সাথে মিলিত হয়ে ও সাইলেসিয়ার একটি ক্ষুদ্র অংশ সাথে নিয়ে চেকোস্লোভাকিয়া গঠন করে। ১৯৩৯ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরুর কিছুদিন আগে জার্মান স্বৈরশাসক আডল্‌ফ হিটলারের চাপে দেশটি স্বাধীনতা ঘোষণা করে, কিন্তু ১৯৪৫ সালে আবার এটি চেকোস্লোভাকিয়ার সাথে মিলিত হয়। ১৯৪৮ থেকে ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত চেকোস্লোভাকিয়ার ক্ষমতায় ছিল সোভিয়েত-ধাঁচের সাম্যবাদী সরকার। ১৯৯৩ সালে দেশটি চেক প্রজাতন্ত্র ও স্লোভাকিয়ায় বিভক্ত হয়ে যায়। ইতিহাস রাজনীতি স্লোভাকিয়ার রাজনীতি একটি সংসদীয় প্রতিনিধিত্বমূলক বহুদলীয় গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কাঠামোয় সংঘটিত হয়। রাষ্ট্রপতি হলেন রাষ্ট্রের প্রধান। সরকারপ্রধান হলেন প্রধানমন্ত্রী। রাষ্ট্রের নির্বাহী ক্ষমতা সরকারের উপর ন্যস্ত। আইন প্রণয়নের ক্ষমতা আইনসভার উপর ন্যস্ত। বিচার বিভাগ নির্বাহী বিভাগ ও আইনসভা হতে স্বাধীন।রবার্ট ফিকো ২০০৬ সাল থেকে বর্তমান পর্যন্ত দেশটির প্রধানমন্ত্রী। প্রশাসনিক অঞ্চলসমূহ ভূগোল অর্থনীতি জনসংখ্যা সংস্কৃতি আরও দেখুন বহিঃসংযোগ বিষয়শ্রেণী:ইউরোপের রাষ্ট্র বিষয়শ্রেণী:স্লোভাকিয়া বিষয়শ্রেণী:জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্র বিষয়শ্রেণী:প্রজাতন্ত্র
স্লোভাকিয়া
মাদুরীয় ভাষা একটি অস্ট্রোনেশীয় ভাষা। এটি ইন্দোনেশিয়ার মাদুরা দ্বীপে প্রচলিত। ভাষাটিতে প্রায় ১ কোটি ৩৬ লক্ষ লোক কথা বলেন। ধ্বনিতত্ত্ব স্বরধ্বনিসমূহ ব্যঞ্জনধ্বনিসমূহ তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:ইন্দোনেশিয়ার ভাষা বিষয়শ্রেণী:মালয়েশিয়ার ভাষা বিষয়শ্রেণী:সিঙ্গাপুরের ভাষা
মাদুরীয় ভাষা
বেলারুশীয় ভাষা (বেলারুশীয় ভাষায়: беларуская мова ব্‌য়েলারুস্কায়া মোভ়া) ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষা পরিবারের স্লাভীয় শাখার পূর্ব স্লাভীয় দলের অন্তর্গত একটি ভাষা। বিয়েল অর্থ সাদা এবং রুস অর্থ রাশিয়া। ইউক্রেনীয় ভাষা ও রুশ ভাষা এই ভাষার নিকটতম প্রতিবেশী ভাষা। এথ্‌নোলগ অনুসারে বেলারুশে প্রায় ৬৭ লক্ষ লোক বেলারুশীয় ভাষায় কথা বলেন। এছাড়াও ভাষাটি রাশিয়া, সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রাক্তন প্রজাতন্ত্রগুলি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়াতে প্রচলিত। ধারণা করা হয় যে সারা বিশ্বে প্রায় ১ কোটি লোক বেলারুশীয় ভাষায় কথা বলেন। ইতিহাস ১৪শ শতকের প্রারম্ভে বর্তমান বেলারুশ ও পোল্যান্ডের কিছু অংশ লিথুনিয়ার ডিউকের রাজত্বের অংশ ছিল। সেই সময়, প্রাচীন গির্জা স্লাভোনীয় ভাষার উপর ভিত্তিতে বেলারশীয় ভাষার একটি প্রাচীন রূপ গড়ে ওঠে এবং এটি ধর্মীয় রচনাবলিতে ব্যবহৃত হতে শুরু করে। ১৫৬৯ সালে পোল্যান্ড লিথুয়ানিয়ার ডিউককে পরাস্ত করে এবং পোলীয় ভাষা অঞ্চলটির প্রধান ভাষায় পরিণত হয়। ১৬৯৬ সালে বেলারুশীয় ভাষার ব্যবহার আইন করে নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়। ১৮শ শতকের শেষ দিকে যখন রুশেরা বেলারুশের দখল নেয়, তখনও বেলারুশীয় ভাষার উপর দমন অব্যাহত থাকে এবং সমগ্র বেলারুশে রুশ ভাষা প্রচলিত হয়। তবে এ সত্ত্বেও এই পর্বে কিছু বেলারুশীয় সাহিত্য প্রকাশ পেতে থাকে। ১৮শ ও ১৯শ শতকে বেলারুশীয় ভাষাকে রুশ ভাষার একটি উপভাষা হিসেবে গণ্য করা হত। আর পণ্ডিতেরা বেলারুশীয়কে পোলীয়, রুশ ও ইউক্রেনীয় ভাষার একটি মিশ্র ভাষা হিসেবে গণ্য করতেন। বেলারুশীয় ভাষার এসময় কোন সরকারি মর্যাদা ছিল না, এবং দেশটির অভিজাত শ্রেণী পোলীয় ও রুশ ভাষা ব্যবহার করতেন। তবে শীঘ্রই বেলারুশীয় ভাষাকে পুনরুজ্জীবিত করার ব্যাপারে বিতর্ক শুরু হয়। ভাষাটির জন্য আলাদা বর্ণমালা প্রণয়ন, শিক্ষাক্ষেত্রে এটির ব্যবহার, এবং ভাষাটি থেকে রুশ ও পোলীয় শব্দ বহিস্কারের ব্যাপারে বিতর্ক চলতে থাকে। ১৯৩৩ সালে স্তালিন বিশুদ্ধ বেলারুশীয় ভাষার সমর্থকদের জাতীয়তাবাদী বলে আক্রমণ করেন। ১৯২০-এর দশক থেকে ১৯৮০-এর দশকের শেষ পর্যন্ত বেলারুশ প্রজাতন্ত্রে সাক্ষরতা বাড়লেও বেলারুশীয় ভাষাভাষীদের শতকরা হার কমে যায়, কেননা এসময় দেশটিতে প্রচুর রুশ লোক প্রবেশ করে এবং স্থানীয় বেলারুশীয়রা মধ্য এশিয়া ও সাইবেরিয়ায় স্থানান্তরিত হয়। বেলারুশীয় প্রকাশনার সংখ্যাও কমে যেতে থাকে এবং রুশ প্রকাশনাগুলি সেই স্থান দখল করে। এই আমলে বেলারুশীয় ভাষার রুশীকরণেরও চেষ্টা করা হয়, যাতে পোলীয় উৎসের বেলারুশীয় শব্দগুলিকে রুশ শব্দ দিয়ে প্রতিস্থাপন করা হয়। ১৯৯১ সালে বেলারুশ স্বাধীনতা লাভ করলে সরকার, গণমাধ্যম ও শিক্ষাব্যবস্থায় সক্রিয়ভাবে বেলারুশীয় ভাষার ব্যবহারকে উৎসাহিত করা হয়। বেলারুশীয় ভাষাকে নতুন প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা হয়। সমস্ত গির্জার নাম ও ব্যক্তিগত নাম আইন করে বেলারুশীয় করা হয়। সরকারী কর্মচারীদেরকে বাধ্যতামূলকভাবে ৫ বছরের মধ্যে বেলারুশীয় ভাষা শেখা শেষ করার এবং দশ বছরের মধ্যে প্রশাসন ও শিক্ষার সর্বত্র বেলারুশীয় চালু করার পরিকল্পনা নেয়া হয়। কিন্তু এই নীতিটি বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি এবং বেলারুশ সরকার ধীরে ধীরে রুশ সরকারের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ হয়ে উঠলে ১৯৯৫ সালে রুশ ভাষাকে দ্বিতীয় রাষ্ট্রভাষা হিসেবে মর্যাদা দেয়া হয়। বর্তমানে যদিও বেলারুশের ৭৫% লোকের মাতৃভাষা বেলারুশীয় ভাষা, তা সত্ত্বেও রুশপন্থী অভিজাতেরা বেলারুশীয় ভাষার ব্যবহারকে নিরুৎসাহিত করছেন এবং রুশ ভাষার ব্যবহার বাধ্যতামূলক করার পরিকল্পনা করছেন। উপভাষা বেলারুশ ভাষা রুশ ও ইউক্রেনীয় ভাষার মধ্যে যোগসূত্র স্থাপন করেছে। ভাষাটির উপভাষাগুলি রাশিয়া ও ইউক্রেনের সীমান্তের কাছে গিয়ে সেখানকার রুশ ও ইউক্রেনীয় ভাষার সাথে মিলে গেছে। বেলারুশীয় ভাষাকে মূলত তিনটি উপভাষা দলে ভাগ করা হয়, এবং এগুলির সবগুলিই পরস্পর বোধগম্য। এগুলি হল উত্তর-পূর্বী, দক্ষিণ-পূর্বী এবং কেন্দ্রীয় বেলারুশীয় ভাষা। কেন্দ্রীয় উপভাষাটি আদর্শ বেলারুশীয় ভাষার ভিত্তি। ধ্বনি ব্যবস্থা স্বরধ্বনি বেলারুশীয় ভাষায় ৫টি স্বরধ্বনিমূল আছে: /i/, /e/, /a/, /u/, এবং /o/। কেবল শ্বাসাঘাতের সময় /o/ এবং/a/-এর পার্থক্য হয়। শ্বাসাঘাতবিহীন/o/ধ্বনি/a/ধ্বনিতে পরিণত হয়।/i/এবং/e/-ও কেবল শ্বাসাঘাতযুক্ত অবস্থানে আলাদাভাবে উচ্চারিত হয়। শ্বাসাঘাতহীন অবস্থানে/e/ধ্বনি/i/শ্বনিতে পরিণত হয়। ব্যঞ্জনধ্বনি বেলারুশীয় ভাষায় ৩৮টি ব্যঞ্জন ধ্বনিমূল আছে। এদের বৈশিষ্ট্যগুলি এরকম: বেশির ভাগ ব্যঞ্জনধ্বনি দুই ধরনের হয়: তালব্যীভূত এবং অ-তালব্যীভূত। তালব্যীভবনে এই পার্থক্য শব্দের অর্থে পরিবর্তন সাধন করতে পারে। ব্যঞ্জনের তালব্যীভবনের সময় জিহ্বা উপরে শক্ত তালুর দিকে উঠে যায়। চারটি ঘৃষ্ট ব্যঞ্জন আছে: /ts/, /dz/, /tsh/, /dzh/. আরও আছে বহু যুক্তব্যঞ্জন। শ্বাসাঘাত শ্বাসাঘাত শব্দের যেকোন সিলেবলে ঘটতে পারে। ব্যাকরণ বেলারুশীয় ভাষার ব্যাকরণের সাথে রুশ ও ইউক্রেনীয় ব্যাকরণের অনেক মিল আছে। বিশেষ্য বেলারুশীয় বিশেষ্যের নিচের বৈশিষ্ট্যগুলি বিদ্যমান: দুইটি বচন (একবচন ও বহুবচন), তবে সামান্য কিছু ক্ষেত্রে দ্বিবচন দেখতে পাওয়া যায়। তিনটি লিঙ্গ (পুংলিঙ্গ, স্ত্রীলিঙ্গ এবং ক্লীবলিঙ্গ) সাতটি কারক (কর্তা, সম্বন্ধ, সম্প্রদান, কর্ম, করণ, পূর্বসর্গীয়, এবং সম্বোধন)। কর্মকারকে প্রাণীবাচক বিশেষ্যের শেষে বিশেষ বিভক্তি যুক্ত হয়। বিশেষ্যের তিন ধরনের রূপভেদ। কোন নির্দেশক পদ নেই। নির্দিষ্টতা-অনির্দিষ্টতা নির্দেশক সর্বনাম, পদক্রম বা সুরভঙ্গি দিয়ে প্রকাশ করা হয়। বিশেষণ বিশেষণগুলি একবচনে লিঙ্গ ও কারকভেদে রূপ পরিবর্তন করে। বহুবচনে কেবল কারকভেদে রূপভেদ হয়। বিশেষণগুলি এবং নির্দেশক ও সম্বন্ধবাচক সর্বনামগুলি বিশেষ্যের আগে বসে এবং বিশেষ্যের লিঙ্গ, বচন ও কারকের সাথে সাযুজ্য বজায় রাখে। ক্রিয়া বেলারুশীয় ক্রিয়াগুলির নিচের বৈশিষ্ট্যগুলি বিদ্যমান: দুই ধরনের ক্রিয়ারূপভেদ তিনটি পুরুষ দুইটি বচন তিনটি লিঙ্গ (কেবল অতীত কালে) তিনটি কাল (বর্তমান, অতীত, ভবিষ্যৎ) দুইটি প্রকার (সমাপিকা ও অসমাপিকা) চারটি ভাব (নির্দেশমূলক, আদেশমূলক, সাপেক্ষ, অনুকল্পমূলক) তিনটি বাচ্য (কর্তৃবাচ্য, মধ্যবাচ্য এবং কর্মবাচ্য) ক্রিয়াগুলি কর্তার সাথে পুরুষ, বচন ও লিঙ্গে (অতীতকালে) সাযুজ্য রক্ষা করে। রুশ ও ইউক্রেনীয় ভাষার মত বেলারুশীয় ভাষাতেও সমাপ্তিবাচক ক্রিয়াগুলি উপসর্গ যোগ করে গঠন করা হয়। গতিসংক্রান্ত ক্রিয়াগুলি বিশেষ শ্রেণীর ক্রিয়া। এই ক্রিয়াগুলিতে জটিল নিয়ম মেনে দিক ও প্রকার নির্দেশকারী বিশেষ উপসর্গ ও প্রত্যয় যুক্ত হয়। পদক্রম বেলারুশীয় ভাষাট স্বাভাবিক পদক্রম হল কর্তা-ক্রিয়া-কর্ম। তবে বিভক্তির কারণে পদগুলির ভূমিকা স্পষ্ট হওয়ায় অন্যান্য পদক্রমও সম্ভব। রুশ ও ইউক্রেনীয় ভাষার মত বেলারুশীয় ভাষাও টপিক-নির্ভর ভাষা। অর্থাৎ পদক্রম কীরকম হবে তা নির্ভর করে টপিক ও কমেন্টের উপর। টপিক অংশটি কমেন্ট অংশের আগে বসে। শব্দভাণ্ডার আধুনিক বেলারুশীয় শব্দভাণ্ডারের দুই-তৃতীয়াংশ অন্যান্য স্লাভীয় ভাষার সাথে সাধারণ শব্দমূল থেকে উৎপত্তি লাভ করেছে। বাকী শব্দগুলি মূলত লাতিন ও গ্রিক থেকে ধার করা। পরবর্তীতে পোলীয়, ফরাসি ও রুশ ভাষা থেকেও শব্দ ধার করা হয়। সাম্প্রতিককালে ইংরেজি থেকেই মূলত শব্দ ধার করা হয়। লিখন পদ্ধতি ইতিহাসের অধিকাংশ সময় জুড়েই বেলারুশীয় লিখন পদ্ধতি দুইটি লিপির যুদ্ধক্ষেত্র ছিল: লাতিন বর্ণমালা ও সিরিলীয় বর্ণমালা। ১৩শ শতক থেকে ১৮শ শতক পর্যন্ত বেলারুশ লিথুয়ানিয়ার ডিউকের শাসনাধীন ছিল। এসময় বেলারুশীয় ভাষা সিরিলীয় লিপিতে লেখা হত। ১৬শ শতকে লাতিন বর্ণমালা গ্রহণ করা হয় এবং ১৬৪২ সালে যে প্রথম বই ছাপানো হয়, তা ছিল লাতিন হরফে ছাপানো। ১৯শ শতকের শেষের দিকে লাতিন হরফে লেখা বেলারুশীয় ভাষা সাহিত্যিক ভাষায় পরিণত হয় এবং বিংশ শতাব্দীর শুরু পর্যন্ত দুইটি লিপিই পাশাপাশি ব্যবহৃত হতে থাকে। ১৯৯১ সালে বেলারুশ সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে স্বাধীনতা লাভ করলে আবার লাতিন লিপি পুনরুজ্জীবিত করার প্রচেষ্টা চালানো হয়। এখন পর্যন্ত কোন আদর্শ লিপিব্যবস্থার ব্যাপারে ঐকমত্যে পৌঁছানো যায়নি। তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:বেলারুশীয় ভাষা বিষয়শ্রেণী:পূর্ব স্লাভীয় ভাষাসমূহ বিষয়শ্রেণী:ভাষা বিষয়শ্রেণী:রাশিয়ার ভাষা বিষয়শ্রেণী:বেলারুশের ভাষা
বেলারুশীয় ভাষা
হাইতীয় ক্রেওল ভাষা (Kreyòl ayisyen; ), (সাধারণভাবে, প্রায়ই ক্রেওল অথবা Kreyòl বলা হয়ে থাকে), হল হাইতি কথ্য ভাষা,যাতে প্রায় ১২ মিলিয়ন লোক কথা বলে থাকেন। এই ১২ মিলিয়নের মধ্যে রয়েছে সম্পূর্ণ হাইতি এবং এর দেশের বাইরে বাহামা দ্বীপপুঞ্জ, কিউবা, কানাডা, ফ্রান্স, কেইম্যান দ্বীপপুঞ্জ, ফরাসি গায়ানা, মার্তিনিক, গুয়াদলুপ, বেলিজ, পুয়ের্তো রিকো, ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্র, কোত দিভোয়ার, ভেনেজুয়েলা, এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যারা রয়েছেন, প্রায় দুই থেকে তিন মিলিয়ান। তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ Haitian Creole - English - Haitian Creole Dictionary Creole Language and Culture - OpenCourseWare from the University of Notre Dame UN Declaration of Human Rights in Haitian Creole RFI — Kréyòl Palé Kréyòl Konprann (radio program) Common Creole Words and Phrases What is Haitian Creole? (By Hugues St.Fort) Saint Lucia Creole guide Google Translator supports Haitian Creole in alpha mode. Byki Learning Flashcards - for iPhone by Transparent Language Haitian Creole - English Medical Dictionary for iPhone, by Educa Vision Haitian Creole Swadesh list of basic vocabulary words (from Wiktionary's Swadesh list appendix) বিষয়শ্রেণী:ভাষা
হাইতীয় ক্রেওল ভাষা
মিনাংকাবাউ ভাষা (autonym: Baso Minang(kabau); ) একটি অস্ট্রোনেশীয় ভাষা। এটিতে পশ্চিম সুমাত্রা, রিয়াউ-এর পশ্চিমাংশ এবং ইন্দোনেশিয়ার বিভিন্ন শহরে বাসরত মিনাংকাবাউ জাতের লোক কথা বলেন। এছাড়া মালয়েশিয়ার একাংশেও এটি প্রচলিত। মিনাংকাবাউ ও মালয় ভাষার মধ্যে ব্যাকরণিক সাদৃশ্য প্রবল বলে অনেকে এটিকে মালয়ের একটি উপভাষা হিসেবে গণ্য করেন। সাহিত্য Nurlela Adnan, Ermitati, Rosnida M. Nur, Pusat Bahasa (Indonesia), Balai Pustaka (Persero), PT. 2001 - Indonesian-Minangkabau dictionary (Kamus bahasa Indonesia-Minangkabau), 841 pages. Tata Bahasa Minangkabau, Gerard Moussay (original title La Langue Minangkabau, translated from French by Rahayu S. Hidayat), . বিষয়শ্রেণী:ভাষা বিষয়শ্রেণী:সংশ্লেষণাত্মক ভাষা বিষয়শ্রেণী:ইন্দোনেশিয়ার ভাষা বিষয়শ্রেণী:মালয়েশিয়ার ভাষা বিষয়শ্রেণী:মালয়িক ভাষা বিষয়শ্রেণী:মিনাংকাবাউ বিষয়শ্রেণী:মিনাংকাবাউ ভাষা
মিনাংকাবাউ ভাষা
আফ্রিকান্স ভাষা () দক্ষিণ আফ্রিকা ও নামিবিয়ায় প্রচলিত একটি পশ্চিম জার্মানীয় ভাষা। আফ্রিকান্স শব্দটি ওলন্দাজ ভাষা থেকে এসেছে, যার অর্থ "আফ্রিকান (ভাষা)"। ওলন্দাজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ১৬শ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে যেসব বসতিস্থাপক ও শ্রমিকদের আফ্রিকার উত্তমাশা অন্তরীপ এলাকায় নিয়ে এসেছিল, তারা এই আফ্রিকান্স ভাষা ব্যবহার করা শুরু করে। এদের বেশিরভাগই ছিল ওলন্দাজ, তবে জার্মানি, ফ্রান্স, স্কটল্যান্ড ও অন্যান্য ইউরোপীয় দেশের লোকও এখানে ছিল। শ্রমিকেরা মূলত ছিল মালয় বংশোদ্ভূত, আর আদিবাসী দাসেরা ছিল মূলত খোই ও সান জাতির লোক। বিংশ শতাব্দীর শুরু পর্যন্তও আফ্রিকান্স-কে ওলন্দাজ ভাষার একটি উপভাষা গণ্য করা হত। ১৯২৫ সালে এটিকে সরকারিভাবে ওলন্দাজ অপেক্ষা একটি আলাদা ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়। বর্তমানে আফ্রিকান্স দক্ষিণ আফ্রিকার একটি সরকারী ভাষা। এটি প্রায় ৬২ লক্ষ লোকের মাতৃভাষা। এছাড়াও আরও প্রায় ১ কোটি লোক এ ভাষা বোঝে ও এতে কথা বলতে পারে। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুলগুলিতে এ ভাষা শেখানো হয় এবং ইলেকট্রনিক ও মুদ্রিত গণমাধ্যমে এর প্রচলন আছে। আফ্রিকান্স আলাদা ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার আগে ওলন্দাজ দক্ষিণ আফ্রিকার একটি সরকারী ভাষা ছিল; আফ্রিকান্স এটিকে প্রতিস্থাপিত করে। সম্প্রতি এটির সরকারি অবস্থান বান্টু ভাষাভাষী জনগণের হুমকির মুখে পড়েছে। নামিবিয়াতে আফ্রিকান্স ১৯৯০ সালে দেশটির জন্মলগ্ন থেকেই একটি জাতীয় ভাষা হিসেবে স্বীকৃত, তবে সরকারী ভাষা হিসেবে নয়। স্বাধীনতার পূর্বে জার্মান ও আফ্রিকান্স যৌথভাবে দেশটির সরকারি ভাষা ছিল। এই দুই রাষ্ট্রের বাইরে অস্ট্রেলিয়া, বতসোয়ানা, কানাডা, লেসোথো, মালাউই, নিউজিল্যান্ড, জাম্বিয়া ও জিম্বাবুয়েতেও আফ্রিকান্স ভাষা প্রচলিত। তথ্যসূত্র পাদটীকা আরও দেখুন ওলন্দাজ ভাষা জার্মানীয় ভাষাসমূহ বহিঃসংযোগ আফ্রিকান্স ভাষার উপর এথনোলগ রিপোর্ট বিষয়শ্রেণী:ভাষা বিষয়শ্রেণী:দক্ষিণ আফ্রিকার ভাষা বিষয়শ্রেণী:নামিবিয়ার ভাষা
আফ্রিকান্স ভাষা
পুনর্নির্দেশ তিব্বতি ভাষাসমূহ
তিব্বতী ভাষা
অত্তো এ মেজ্জো (, বাংলা: সাড়ে আট) ফেদেরিকো ফেল্লিনির রচনা এবং পরিচালনায় নির্মিত একটি ইতালীয় চলচ্চিত্র। এটি ১৯৬৩ সালে মুক্তি পায়। সমালোচক এবং দর্শকেরা বেশ নিয়মিতই এটিকে এখন পর্যন্ত নির্মিত অন্যতম সেরা চলচ্চিত্র হিসেবে আখ্যায়িত করেন। চলচ্চিত্র সংস্থা এবং শিক্ষাঙ্গণ কর্তৃক প্রণীত সর্বকালের সেরা দশ সিনেমার সকল তালিকাতেই একে থাকতে দেখা যায়। সম্প্রতি ব্রিটিশ ফিল্ম ইনস্টিটিউট চলচ্চিত্র পরিচালকদের ভোটাভুটির মাধ্যমে তৈরি করা সর্বকালের সেরা চলচ্চিত্রের তালিকায় এটি ৩য় স্থান অধিকার করেছে। প্রভাবশালী এবং সৃজনশীল চিত্রগ্রাহক জিয়ানি দি ভেনান্‌জো সাদা-কালোতে এর চিত্র গ্রহণ করেছেন। ছবিটির সুর এবং সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন নিনো রোতা। কাহিনীর সারাংশ চলচ্চিত্র নির্মাণ নিয়ে নির্মিত সর্বকালের অন্যতম সেরা সিনেমা ফেদেরিকো ফেলিনির অত্তো এ মেজ্জো। একজন চলচ্চিত্র পরিচালকের ব্যক্তিগত সংকট সিনেমাতে মহাকাব্যিক রূপ নিয়েছে। গুইদো আন্‌সেল্‌মি একজন পরিচালক যার চলচ্চিত্র এবং ব্যক্তিগত জীবন চোখের সামনে নস্যাৎ হয়ে যাচ্ছে। সিনেমার প্রাথমিক "ওয়ার্কিং নাম" ছিল লা বেল্লা কনফুসিওন (সুন্দর বিভ্রান্তি)। সিনেমাটি আসলেই জীবনের একটি বিভ্রান্তিকর অবস্থাকে ফুটিয়ে তুলেছে যেখানে আছে: একটি ঝিকিমিকি স্বপ্ন, একটি সার্কাস এবং একটি জাদুকরী অভিনয়। চরিত্রসমূহ এবং অভিনেতা মারচেল্লো মাস্ত্রোইয়ান্নি - গুইদো আন্‌সেল্‌মি (ব্লকে আক্রান্ত পরিচালক) ক্লাউদিয়া কার্দিনালে - ক্লাউদিয়া আনুক এমে - লুইসা আন্‌সেল্‌মি (পরিচালকের স্ত্রী) সান্দ্রা মিলো - কার্লা রোসেল্লা ফাল্ক - রোসেলা বারবারা স্তেলা - গ্লোরিয়া মোরিন Madeleine LeBeau - মাদেলেইন Caterina Boratto - লা সিনোরা মিস্তেরিওসা এদ্রা গালে - লা সারাগিনা গিদো আলবের্তি - পাসে মারিও চোনোচ্চিয়া - কনোকিয়া ব্রুনো আগোস্তিনি - কার্দিনাল Cesarino Miceli Picardi - সেজারিনো Jean Rougeul - কারিনি মারিও পিসু - মারিও মেজাবোতা তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ বিষয়শ্রেণী:১৯৬৩-এর চলচ্চিত্র বিষয়শ্রেণী:১৯৬০-এর দশকের হাস্যরসাত্মক নাট্য চলচ্চিত্র বিষয়শ্রেণী:ইতালীয় আত্মজীবনীমূলক চলচ্চিত্র বিষয়শ্রেণী:ইতালীয় চলচ্চিত্র বিষয়শ্রেণী:ইতালীয় সাদাকালো চলচ্চিত্র বিষয়শ্রেণী:ইতালীয় হাস্যরসাত্মক নাট্য চলচ্চিত্র বিষয়শ্রেণী:ইতালীয় ভাষার চলচ্চিত্র বিষয়শ্রেণী:জার্মান ভাষার চলচ্চিত্র বিষয়শ্রেণী:ফরাসি ভাষার চলচ্চিত্র বিষয়শ্রেণী:ফেদেরিকো ফেল্লিনি পরিচালিত চলচ্চিত্র বিষয়শ্রেণী:ফেদেরিকো ফেল্লিনির চিত্রনাট্য সংবলিত চলচ্চিত্র বিষয়শ্রেণী:শ্রেষ্ঠ বিদেশি ভাষার চলচ্চিত্র বিভাগে একাডেমি পুরস্কার বিজয়ী বিষয়শ্রেণী:রোমে ধারণকৃত চলচ্চিত্র বিষয়শ্রেণী:নিনো রোতা সুরারোপিত চলচ্চিত্র বিষয়শ্রেণী:চলচ্চিত্র পরিচালক ও প্রযোজক সম্পর্কে চলচ্চিত্র
অত্তো এ মেজ্জো
বিড়াল (Felis catus বা ফেলিস ক্যাটাস) একটি গার্হস্থ্য প্রজাতি বা ছোট মাংসাশী স্তন্যপায়ী। এটি ফেলিডা পরিবারের একমাত্র গৃহপালিত প্রজাতি এবং প্রায়শই এটি পরিবারের বন্য সদস্যদের থেকে পৃথক করার জন্য গার্হস্থ্য বিড়াল হিসেবে পরিচিত। একটি বিড়াল, হয় ঘরের বিড়াল, খামারের বিড়াল বা ফেরাল বিড়াল হতে পারে; বনবিড়াল অবাধে মানুষের যোগাযোগ পরিসীমা এড়িয়ে চলে। গার্হস্থ্য বিড়ালদের সাহচর্য এবং তীক্ষ্ণদন্তী প্রাণী শিকারের দক্ষতার জন্য মানুষ এদেরকে মূল্যবান বলে মনে করে। বিভিন্ন বিড়াল নিবন্ধনকারীর মাধ্যমে এযাবৎ বিড়ালের স্বীকৃত ষাটের অধিক স্বীকৃত বিড়ালের প্রজাতির সন্ধান পাওয়া যায়। বিড়ালের শারীরস্থান অন্যান্য ফেলিডি প্রাণীর অনুরূপ দৃঢ় নমনীয় শরীর, তড়িৎ প্রতিক্রিয়াশীল, এদের তীক্ষ্ণ দাঁত এবং সঙ্কোচনীয় থাবা ক্ষুদ্র শিকারে পারদর্শী। এদের রাতের দৃষ্টি এবং ঘ্রাণশক্তি খুব উন্নত। তবে এদের বর্ণের দৃশ্যমানতা দরিদ্র। বিড়ালের যোগাযোগের মধ্যে কণ্ঠস্বরের ব্যবহার যেমন, মিয়াও, গরগর (প্যুর), কম্পনজাত (ট্রিল) শব্দ, হিস, গর্জন এবং গোঁ গোঁ শব্দ করা প্রভৃতি কণ্ঠ্যবর্ণের ব্যবহারের পাশাপাশি বিড়ালের নির্দিষ্ট শরীরের ভাষা রয়েছে। বিড়াল, একক শিকারী হওয়া সত্ত্বেও সামাজিক প্রজাতির। মানুষের কানের তুলনায় বিড়াল খুব তীক্ষ্ণ এবং খুব উচ্চ শব্দ কম্পাঙ্ক শুনতে পায়, যেমন ইঁদুর অথবা অন্যান্য ক্ষুদ্র প্রাণীর দ্বারা সৃষ্ট শব্দ। এরা শিকারী প্রবুত্তির হওয়ায় ভোর ও সন্ধ্যায় সর্বাধিক সক্রিয় থাকে। এছাড়াও এরা নিজ প্রজাতির সাথে অপ্রকাশ্য এবং ফেরোমোন অনুভূতী দ্বারা যোগাযোগ করতে সক্ষম। মহিলা গার্হস্থ্য বিড়ালদের বসন্ত থেকে শরতের শেষ কাল পর্যন্ত প্রসবকালীন সময় হতে পারে। প্রায়শ দুটি থেকে পাঁচটি পর্যন্ত ছানার জন্ম দিয়ে থাকে। বিড়ালের উচ্চ প্রজনন হার রয়েছে। নিয়ন্ত্রিত প্রজননের অধীনে গার্হস্থ্য বিড়ালদের প্রজনন করানো হয়, এবং নিবন্ধিত পেডিগ্রেড বিড়াল হিসাবে বিড়াল প্রেমীর কাছে একটি শখ হিসেবে প্রদর্শিত হয়ে পারে। স্পেকরণ এবং খোজাকরনের মাধ্যমে পোষা বিড়ালের প্রজনন নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতা, বিশ্বজুড়ে বিপুল সংখ্যক ফেরাল বিড়ালের প্রজনন ঘটায় যারা প্রায় সম্পূর্ণ প্রজাতির পাখি, স্তন্যপায়ী প্রাণী এবং সরীসৃপ প্রজাতিগুলির বিলুপ্তিতে অবদান রেখেছে। বিড়াল সর্বপ্রথম নিকট প্রাচ্যে খ্রিস্টপূর্ব ৭৫০০ সালে গৃহপালিতকরণ শুরু হয়েছিল। খ্রিস্টপূর্ব ৩১০০ সাল থেকে প্রাচীন মিশরে বিড়ালের পূজা করা হতো বলে, দীর্ঘকাল ধরে ধারণা করা হয়েছিল যে প্রাচীন মিশরে বিড়ালদের গৃহপালিতকরণের সূচনা হয়েছিল। , মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পোষা পাখির পর বিড়াল দ্বিতীয় জনপ্রিয় পোষা প্রাণী, যেখানে প্রায় ৪২.৭ মিলিয়ন পোষা বিড়াল ছিল। , যুক্তরাজ্যের ৪.৮ মিলিয়নেরও বেশি পরিবারে প্রায় ৭.৩ মিলিয়ন বিড়াল বাস করত। ব্যুৎপত্তি এবং নামকরণ ইংরেজি 'cat' শব্দটি প্রাচীন ইংরেজি থেকে এসেছে। এর উৎস হিসেবে মৃত লাতিন শব্দ থেকে উদ্ভুত বলে মনে করা হয়, যা ষষ্ঠ শতাব্দীর শুরুতে প্রথম ব্যবহৃত হয়েছিল। পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল যে 'cattus' শব্দটি কোপটিকের একটি মিশরীয় পূর্বসূরী, , "tomcat" থেকে এসেছে, বা এর স্ত্রীলিঙ্গ রূপটি -এর সাথে সংযুক্ত হয়েছে। শ্রেণীবিন্যাস ১৭৫৮ সালে কার্ল লিনিয়াস গার্হস্থ্য বিড়ালের জন্য Felis catus (ফেলেস ক্যাটাস) বৈজ্ঞানিক নামটি প্রস্তাব করেছিলেন। ১৭৭৭ সালে জোহান ক্রিশ্চিয়ান পলিকার্প এরক্সলেবেন Felis catus domesticus (ফেলেস ক্যাটাস হোমসিয়াস) প্রস্তাব করেছিলেন। ১৯০৪ সালে কনস্ট্যান্টিন আলেক্সেভিচ সাটুনিন প্রস্তাবিত Felis daemon (ফেলেস ডেমন) ছিল ট্রান্সককেশাসের একটি কালো বিড়াল, পরে এটি গার্হস্থ্য বিড়াল হিসেবে চিহ্নিত হয়েছিল। ২০০৩ সালে, প্রাণিবিজ্ঞানীয় নামকরণের আন্তর্জাতিক কমিশন রায় দিয়েছে যে, গার্হস্থ্য বিড়াল একটি আলাদা প্রজাতি, যথা নাম Felis catus (ফেলেস ক্যাটাস)। ২০০৭ সালে, ফিলোজেনেটিক গবেষণার ফলাফলের পরে এটি ইউরোপিয় বন্যবিড়াল F. silvestris catus-এর উপপ্রজাতি। ২০১৭ সালে, আইইউসিএন বিড়াল শ্রেণিবিন্যাস টাস্কফোর্স একটি পৃথক প্রজাতি, Felis catus (ফেলেস ক্যাটাস) হিসেবে গার্হস্থ্য বিড়াল সম্পর্কিত আইসিজেডএন-এর সুপারিশ অনুসরণ করেছিল। বিবর্তন গার্হস্থ্য বিড়াল প্রায় ১০-১৫ মিলিয়ন বছর পূর্বে ফেলিডির পরিবারের সাধারণ পূর্বসূরি ছিল। আনুমানিক ৬–৭ মিলিয়ন বছর পূর্বে ফেলিস থেকে ফেলিস প্রজাতিটি বিচ্যুত হয়েছিল। ফাইলোজেনেটিক গবেষণার ফলাফলগুলি নিশ্চিত করে যে, বন্য ফেলিস প্রজাতি সহানুভূতি বা প্যারাপ্যাট্রিক স্পেসিফিকেশনের মাধ্যমে বিকশিত হয়েছিল, যেখানে গৃহপালিত বিড়াল কৃত্রিম নির্বাচনের মাধ্যমে বিকশিত হয়ে। গার্হস্থ্য বিড়াল এবং তার নিকটতম বন্য পূর্বপুরুষ উভয়ই কূটনীতিযুক্ত জীব, যা ৩৮ জোড়া ক্রোমোজোম এবং প্রায় ২০,০০০ জিন ধারণ করে। চিতা বিড়াল (Prionailurus bengalensis) খ্রিস্টপূর্ব ৫,৫০০ অব্দে চীনে স্বাধীনভাবে পালিত হয়েছিল। আংশিকভাবে পোষা বিড়ালের এই প্রজাতির কোনও চিহ্নই বর্তমান গৃহপালিত বিড়ালের মধ্যে অবশিষ্ঠ নেই। গার্হস্থ্যকরণ আনুমানিক ৯,২০০ থেকে ৯,৫০০ বছর পূর্বে দক্ষিণ সাইপ্রাসের শিলোরোকাম্বোসে একটি মানব নবপোলিয় সমাধি খননের মাধ্যমে, আফ্রিকার বনবিড়ালের (F. lybica) বশে আনার প্রথম ইঙ্গিত পাওয়া যায়। যেহেতু সাইপ্রাসে স্থানীয় স্তন্যপায়ী প্রাণীর কোন প্রমাণ পাওয়া যায় নি, তাই এই নবপোলিয় গ্রামের বাসিন্দারা সম্ভবত বিড়াল এবং অন্যান্য বন্য স্তন্যপায়ীদের মধ্যপ্রাচ্যের মূল ভূখণ্ড থেকে দ্বীপে নিয়ে এসেছিলেন। বিজ্ঞানীরা তাই ধরে নিয়েছেন যে আফ্রিকান বনবিড়ালগুলি উর্বর চন্দ্রকলার প্রাথমিক যুগে বিশেষত ঘরের ইঁদুরের (Mus musculus) দ্বারা আকৃষ্ট হয়েছিল এবং নবপোলিয় কৃষকরা তাদের দমন করেছিল। প্রারম্ভিক কৃষকদের এবং জড়িত বিড়ালদের মধ্যে এই প্রচলিত সম্পর্ক হাজার বছর ধরে স্থায়ী হয়েছিল। কৃষিকাজের পাশাপাশি কৃত্রিম ও পোষা বিড়ালও ছড়িয়ে পড়েছিল। মিশরের বনবিড়ালেরা পরবর্তী সময়ে গৃহপালিত বিড়ালের প্রসূতি জিন পুলে অবদান রাখে। খ্রিস্টপূর্ব ১২০০ অব্দে গ্রিসে গার্হস্থ্য বিড়ালের সংঘটিত হওয়ার প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া যায়। গ্রিক, ফিনিশিয়া, কার্থাগিনিয় এবং এটরুস্কা ব্যবসায়ীরা দক্ষিণ ইউরোপে দেশীয় বিড়ালদের পরিচয় করিয়ে দেয়। রোমান সাম্রাজ্যের সময় প্রথম সহস্রাব্দ শুরুর আগে কর্স এবং সার্ডিনিয়ায় এরা পরিচিত হয়েছিল। খ্রিস্টপূর্ব ৫ম শতাব্দীর মধ্যে, এরা ছিল ম্যাগনা গ্র্যাসিয়া এবং ইটারুরিয়ায় বসতিগুলির আশেপাশে পরিচিত প্রাণী। ৫ম শতাব্দীতে রোমান সাম্রাজ্যের শেষের দিকে মিশরীয় গার্হস্থ্য বিড়ালের বংশ উত্তর জার্মানির বাল্টিক সমুদ্র বন্দরে এসেছিল। বৈশিষ্ট্য আকার ইউরোপিয় বনবিড়ালের মতোন গার্হস্থ্য বিড়ালের মাথার খুলি ছোট আকারের এবং খাটো হাড় রয়েছে। এদের মাথা থেকে দেহের দৈর্ঘ্যে প্রায় এবং উচ্চতা প্রায় হয়ে থাকে এবং এদের লেজ প্রায় লম্বা হয়। মহিলাদের তুলনায় চেয়ে পুরুষদের আকার বড় হয়ে থাকে। প্রাপ্তবয়স্কদের গার্হস্থ্য বিড়ালের ওজন সাধারণত হয়। যোগাযোগ গার্হস্থ্য বিড়াল যোগাযোগের জন্য বিভিন্ন কণ্ঠস্বরের ব্যবহার করে, যেমন গরগর (প্যুর), কম্পনজাত (ট্রিল) শব্দ, হিস, গোঁ-গোঁ শব্দ, এবং বিভিন্ন ধরনের মিয়াও শব্দ করা। আরো দেখূন Aging in cats Ailurophobia Animal testing on cats Animal track Big cats বৃহত্তম বিড়ালের তালিকা Cancer in cats Cat and mouse (cat-and-mouse game) Cat bite Cat burning Cat café Cat intelligence Cat lady Cat lover culture Cat meat Cats and the Internet Dog–cat relationship Dried cat List of cat documentaries List of cats বিড়ালের জাতের তালিকা List of fictional cats and felines Pet door including cat flap Pet first aid Popular cat names অবস্থান অনুযায়ী বিড়ালদোকান Cats in ancient Egypt Cats in Australia Cats in New Zealand Cats in the United States টিকা তথ্যসূত্র উৎস বহিঃসংযোগ High-Resolution Images of the Cat Brain Biodiversity Heritage Library bibliography for Felis catus Catpert. The Cat Expert – Cat articles View the cat genome in Ensembl বিষয়শ্রেণী:ফেলেস বিষয়শ্রেণী:১৭৫৮-এ বর্ণিত স্তন্যপায়ী বিষয়শ্রেণী:বিশ্বজনীন মেরুদণ্ডী বিষয়শ্রেণী:বিশ্বজনীন স্তন্যপায়ী বিষয়শ্রেণী:প্রাণী মডেল বিষয়শ্রেণী:কার্ল লিনিয়াসের নামযুক্ত ট্যাক্সা
বিড়াল
thumb|টোকিও সাবওয়ে-র মানচিত্র বিশ্বের সবচাইতে দ্রুত পরিবহন ব্যবস্থার মধ্যে টোকিও সাবওয়ে অন্যতম। যে পথে প্রায় ৮০ লক্ষ লোক প্রতিদিন যাতায়াত করে। তথ্যসূত্র আরও দেখুন বিষয়শ্রেণী:দ্রুতগামী গণপরিবহন ব্যবস্থা
টোকিও সাবওয়ে
সিরাজদীখান বাংলাদেশের মুন্সিগঞ্জ জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা। অবস্থান এই উপজেলার উত্তরে - কেরানীগঞ্জ উপজেলা ও ফতুল্লা উপজেলা, দক্ষিণে - শ্রীনগর উপজেলা ও লৌহজং উপজেলা, পশ্চিমে-ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলা, পূর্বে- টংগিবাড়ী উপজেলা ও মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলা। প্রশাসনিক এলাকা সিরাজদিখান উপজেলায় মোট ইউনিয়নের সংখ্যা ১৪ টি। চিত্রকোট, শেখর নগর, রাজানগর, কেয়াইন, বাসাইল, রশুনিয়া, লতব্দী, বালুচর, ইছাপুর, বয়রাগাদি, মালখানগর, মধ্যপাড়া, জৈনসার, কোলা ইতিহাস মুন্সীগঞ্জ এবং শ্রীনগর এ দুটি থানা নিয়ে ১৮৪৫ খ্রি: মুন্সীগঞ্জ মহকুমা স্থাপিত হয়। তখন সিরাজদিখান এলাকাটি শ্রীনগর থানার আওতাভুক্ত ছিল। পূর্বে এই স্থানের নাম ছিল ইদ্রাকপুর। ১৮৫৭ সালের। ১৯১২ খ্রি: পর্যন্ত সিরাজদিখান বন্দরে কয়েকটি দোকানঘর ও বাজারঘর ব্যতীত বিশেষ কোনউন্নতিহয়নি। ১৮৭২ সালে সমগ্র ঢাকা জেলায় মোট থানার সংখ্যা ছিল মাত্র ১৯টি। ১৯২১ সালের জরিপে দেখা যায় ঢাকা জেলায় তখন মোট থানা ছিল ৩৫টি। এই ৩৫টি’ রমধ্ যেতখন সিরাজদিখান ছিল অন্যতম। ১৯১৪-১৫ সালের দিকে সিরাজদিখানথানা ও সিরাজদিখান সাবরেজিষ্টার অফিস স্থাপিত হয়। ১৯৮২ সালের ১৫ই ডিসেম্বর তৎকালীন রাষ্ট্রপতি হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদের এক আদেশ বলে সিরাজদিখান উন্নিত থানায় রূপান্তর হয়। ইহার পর হতেই উপজেলা হিসাবে সিরাজদিখান স্বীকৃত। উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব বুদ্ধদেব বসু –– কবি। সাদেক হোসেন খোকা –– রাজনীতিবিদ আরও দেখুন মুন্সিগঞ্জ জেলা; ঢাকা বিভাগ; বাংলাদেশের উপজেলাসমূহ। তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ বিষয়শ্রেণী:সিরাজদিখান উপজেলা বিষয়শ্রেণী:মুন্সিগঞ্জ জেলার উপজেলা বিষয়শ্রেণী:ঢাকা বিভাগের উপজেলা
সিরাজদিখান উপজেলা
কুলাউড়া উপজেলা বাংলাদেশের মৌলভীবাজার জেলার একটি প্রশাসনিক এলাকা। ১৯৮২ সালে কুলাউড়া উপজেলায় উন্নীত হয়। বর্তমানে এটি একটি পৌরসভা। অবস্থান ও আয়তন কুলাউড়া উপজেলার অবস্থান ২৪.৫১৬৭ ডিগ্রী উত্তর অক্ষাংশ থেকে ৯২.০৩৩৩ ডিগ্রী পূর্ব দ্রাঘিমাংশ পর্যন্ত। আয়তন ৬৭৯.২৫ বর্গ কিলোমিটার (২৬২ বর্গ মাইল)। কুলাউড়ার উত্তরে বড়লেখা, জুড়ি ও ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা, পশ্চিমে রাজনগর ও কমলগঞ্জ উপজেলা, দক্ষিণে ভারতের ত্রিপুরা, পূর্বে ভারতের ত্রিপুরা ও আসাম রয়েছে। প্রশাসনিক এলাকা কুলাউড়া উপজেলায় বর্তমানে ১টি পৌরসভা ও ১৩টি ইউনিয়ন রয়েছে। সম্পূর্ণ উপজেলার প্রশাসনিক কার্যক্রম কুলাউড়া থানার আওতাধীন। পৌরসভা: কুলাউড়া ইউনিয়নসমূহ: ১নং বরমচাল ২নং ভূকশিমইল ৩নং ভাটেরা ৪নং জয়চণ্ডী ৫নং ব্রাহ্মণবাজার ৬নং কাদিপুর ৭নং কুলাউড়া ৮নং রাউৎগাঁও ৯নং টিলাগাঁও ১০নং হাজীপুর ১১নং শরীফপুর ১২নং পৃথিমপাশা ১৩নং কর্মধা নামকরনের ইতিহাস শাহা হেলিম উদ্দিন কোরেশী নামক গ্রন্থ থেকে জানা যায় মোঘল সুবাদার এর কাছ থেকে দেওয়ানী পাওয়ার পর মনসুর গ্রামের প্রখ্যাত দেওয়ান মামন্দ মনসুরের পিতামহ মামন্দ মনোহরের ভ্রাতা মামন্তদ কুলাঅর কুমার থাকাবস্থায় মৃত্যু বরণ করেন। তার মৃত্যুর পর মামন্দ মনোহর ভ্রাতার স্মৃতি রক্ষার্থে নিজ জমিদারির পূর্বাংশে একটি বাজার প্রতিষ্ঠা করে নাম রাখেন কুলঅরার বাজার’’। কালক্রমে “কুলঅরার বাজার থেকে কুলাউড়া” নামকরণ করা হয়েছে। ভূপ্রকৃতি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় হাওর হাকালুকির বেশিরভাগ অংশ কুলাউড়ার অধীনে। এছাড়াও লংলিয়া, গোয়ালজোর ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য হাওর। মনু সবচেয়ে বড় ও প্রধান নদী। হাওর আর নদী ছাড়া এই অঞ্চলের বেশিরভাগ স্থানই সমতল। তাছাড়া উপজেলার ভারতীয় সীমান্তবর্তী এলাকা জুড়ে পাহাড়ি বন বিস্তৃত যা কুলাউড়া পাহাড় নামে পরিচিত। পাহাড়ী জনপদ রয়েছে যার বৈচিত্রতা পরিলক্ষিত হয়। অধিবাসী ২০০১ খ্রিষ্টাব্দের আদমশুমারী অনুযায়ী উপজেলার জনসংখ্যা ৩,৩৯,৬৭৩ জন (২০১১-তে তা হয় ৩,৬০,১৮৫ জন)। তন্মধ্যে ২০০১-এ পুরুষ ৫১.০৯ শতাংশ, এবং নারী ৪৯.৯১ শতাংশ। ২০১১ সালে পুরুষ ৪৮.৮১ এবং নারী ৫১.১৮ শতাংশ। এলাকার জনসংখ্যার সিংহভাগ মুসলমান (৭৪.২১ শতাংশ); এছাড়াও রয়েছেন হিন্দু (২৪.৫৮ শতাংশ), খ্রিস্টান (১.১২ শতাংশ) ধর্মাবলম্বী। অন্যান্য ধর্মাবলম্বী রয়েছেন ০.০৯ শতাংশ। আদিবাসীদের মধ্যে অন্যতম খাসিয়া, মণিপুরী এবং অন্যান্য আদিবাসী সম্প্রদায়, এদের সংখ্যা ৬,১৯৪ জন। কুলাউড়া উপজেলার জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গকিলোমিটারে ৬৬০ জন। জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ২.১০ শতাংশ (পরিবার পরিল্পনা অফিস) বা ১.৩৯ শতাংশ (জাতীয়)। শিক্ষা উপজেলায় শিক্ষার হার ৫১.০৮ শতাংশ। কৃষি নদী ও হাওরগুলো মৎস্যের প্রধান উৎস। এছাড়া হাওরগুলোতে বিভিন্ন মৌসুমে প্রচুর বোরো, আউশ, আমন, শাইল ধান উৎপাদিত হয়। এছাড়া কুলাউড়া, চা শিল্পের জন্য বিখ্যাত। মৌলভীবাজার জেলায় চা বাগানের সংখ্যা অনুপাতে শ্রীমঙ্গল উপজেলার পরে কুলাউড়ার অবস্থান। কুলাউড়ায় রাবার, কমলা, আনারস, আম, কাঁঠাল এবং বাঁশ উৎপাদিত হয়। অর্থনীতি মূলত কৃষি নির্ভর। এছাড়া বিভিন্ন পেশাজীবি সম্প্রদায় রয়েছে। এই উপজেলার অর্থকরি ফসলের মধ্যে চা অন্যতম। এছাড়া রাবারেরও উৎপাদন হয়। কৃতি ব্যক্তিত্ব সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ নবাব আলী আব্বাছ খান আব্দুল জব্বার যোগাযোগ ব্যবস্থা সড়ক পথে মৌলভীবাজার এবং ওপর দিক থেকে বড়লেখা হয়ে রাজধানী শহর ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের সাথে যোগাযোগ রয়েছে। এছাড়া রয়েছে রেল যোগাযোগ। কুলাউড়া রেল জংশন একটি প্রাচীনতম রেল জংশ। আরও দেখুন হাকালুকি হাওর; মৌলভীবাজার জেলা; সিলেট বিভাগ; বাংলাদেশের উপজেলাসমূহ। তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো কর্তৃক প্রকাশিত ২০০১ সালের আদমশুমারী প্রতিবেদন বাংলাদেশের পরিসংখ্যানে কুলাউড়ার তুলনামূলক অবস্থা, GeoHive.com বিষয়শ্রেণী:কুলাউড়া উপজেলা বিষয়শ্রেণী:মৌলভীবাজার জেলার উপজেলা বিষয়শ্রেণী:সিলেট বিভাগের উপজেলা
কুলাউড়া উপজেলা
রবের্তো বাজ্জো ( ; জন্ম ১৮ই ফেব্রুয়ারি, ১৯৬৭, কালদোনিও, ভেনেতো, ইতালি) একজন সাবেক ইতালীয় ফুটবলার। তাকে ৯০ দশকের এবং ২০০০ দশকের প্রথমার্ধের বিশ্বের অন্যতম কুশলী এবং প্রতিভাধর খেলোয়াড় হিসেবে বিবেচনা করা হয় । ইতালির পক্ষে ৩টি বিশ্বকাপে তিনি অংশ নেন এবং ৩টি বিশ্বকাপেই গোল করা একমাত্র ইতালীয় খেলোয়াড় হিসেবে ইতিহাসে নাম লেখান। জীবনী উত্তর ইতালির ভিচেন্‌জার নিকটবর্তী কালদেনো শহরে রবের্তো বাজ্জো জন্মগ্রহণ করেন। শৈশব থেকেই তিনি ফুটবলের প্রতি ভীষণ আকর্ষণ অনুভব করতেন এবং স্থানীয় একটি যুবদলে ৯ বছর খেলেন। একটি ম্যাচে ৬ গোল করার পর আন্তোনিও মোরা তাকে ভিচেন্‌জা ক্লাবে খেলার প্রস্তাব দেন ক্লাব ফুটবল ১৯৮২ সালে ভিচেন্‌জার হয়ে সেরি সি লীগে অংশ নিয়ে তিনি পেশাদারী ফুটবল জীবন শুরু করেন। ১৯৮৫ সালে ফিওরেন্তিনা তাকে কিনে নেয়। সাম্পাদোরিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের মধ্য দিয়ে ১৯৮৬ সালে তার "সেরি আ" লীগে অভিষেক হয়। ১৯৮৭ সালের ১০ মে নাপোলির বিপক্ষে সেরি আ ক্যারিয়ারের প্রথম গোল করেন। উল্লেখ্য, সে বছর নাপোলি স্কুদেত্তি জয় করেছিল। ১৯৯০ সালে তৎকালীন রেকর্ড ১৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিনিময়ে ফিওরেন্তিনা তাকে জুভেন্টাসের কাছে বেচে দেয়। এ ঘটনায় ফ্লোরেন্সের রাস্তায় পুলিশের সাথে সমর্থকদের ব্যাপক দাঙ্গা সংঘটিত হয় । ১৯৯৩ সালে জুভেন্টাসের হয়ে তিনি উয়েফা কাপ জয় করেন । তার ক্যারিয়ারে এটি একমাত্র ইউরোপীয় শিরোপো। এ টুর্নামেন্টে তার উজ্জল উপস্থিতি তাকে "ওয়ার্ল্ড প্লেয়ার অফ দ্য ইয়ার" এবং "ইউরোপিয়ান প্লেয়ার অফ দ্য ইয়ার"-এর সম্মান এনে দেয়। ১৯৯৫ সালে জুভেন্টাসের হয়ে এবং ১৯৯৬ সালে এসি মিলানের হয়ে তিনি স্কুডেট্টি জয় করেন । ১৯৯৭ এ তার ফর্মের অবনতি হলে ক্যারিয়ার বাঁচাতে তিনি বোলোনিয়া ক্লাবে যোগ দেন এবং ২২ গোল করে দারুণভাবে ফর্মে ফিরে আসেন। এটি তাকে ১৯৯৮-এর ফ্রান্স বিশ্বকাপগামী দলে জায়গা করে দেয়। বিশ্বকাপে ফর্মে থাকা বাজ্জোর বদলে আলেস্‌সান্দ্রো দেল পিয়েরো,-কে বেশি সুযোগ দেয়ায় তৎকালীন কোচ সেজার মালদিনি ব্যাপকভাবে সমালোচিত হন। ইতালি সেবার কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নেয় । ৯৮ বিশ্বকাপের পর তিনি ইন্টার মিলানে যোগ দেন। কিন্তু কোচ মার্চেল্লো লিপ্পির সুনজর কাড়তে ব্যর্থ হন। ফলশ্রুতিতে জাতীয় দলে তার জায়গা হারান। ২০০২ সালের বিশ্বকাপের পূর্বে দলে জায়গা পেতে বাজ্জো ব্রেসিয়া ক্লাবে যোগ দেন।ইনজুরি কাটিয়ে বিশ্বকাপের পূর্বে নাটকীয়ভাবে তিনি সুস্থ হয়ে উঠেন, পাশাপাশি ফর্মে থাকারও ইঙ্গিত দেন । জিওভানি ত্রাপাত্তোনি শেষ পর্যন্ত তাকে দলভুক্ত করেননি। ২০০৪ সালে অবসর নেয়ার পূর্ব পর্যন্ত তিনি ব্রেসিয়া ক্লাবের হয়ে খেলে যান ।১৬ মে , ২০০৪ তিনি এসি মিলানের বিপক্ষে ক্যারিয়ারের শেষ লীগ ম্যাচটি খেলেন । তার করা ২০৫ গোল সিরি এ লীগের ইতিহাসে পঞ্চম সর্বোচ্চ । আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার ১৯৯০ বিশ্বকাপ এ বিশ্বকাপে ইতালি তৃতীয় স্থান অর্জন করে । অধিকাংশ ম্যাচে বাজ্জো বদলি খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামেন । চেকোস্লোভাকিয়ার বিরুদ্ধে করা তার গোলটি "গোল অফ দ্য টুর্নামেন্ট" এর মর্যাদা লাভ করে। ১৯৯৪ বিশ্বকাপ প্রথম রাউন্ডে দুর্বল পারফর্মেন্স কাটিয়ে উঠে ইতালি শেষ পর্যন্ত রানার্স-আপ হয়। নক আউট পর্বে বাজ্জো অসাধারণ পারফর্মেন্স প্রদর্শন করে ৫টি গোল করেন। নাইজেরিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ শেষ হওয়ার দুই মিনিট আগে তার গোলে ইতালি সমতা আনে । পরবর্তীতে তার করা গোল্ডেন গোলে ইতালি ম্যাচ জয় করে। স্পেনের বিপক্ষে ম্যাচ শেষ হওয়ার ৩ মিনিট আগে জয়সূচক গোল আসে তার পা থেকে। সেমিফাইনালে বুলগেরিয়ার বিপক্ষে তার করা জোড়া গোলে ইতালি জয়ী হয়। ফাইনালে সম্পূর্ণ সুস্থ না থাকা সত্ত্বেও ব্রাজিলের বিপক্ষে মাঠে নামেন। ম্যাচটি শেষ পর্যন্ত টাই-ব্রেকারে গড়ালে ইতালির ফ্রাংকো বারেসি ও ডানিয়েল মাসারোর সাথে বাজ্জো গোল করতে ব্যর্থ হন; শিরোপা তুলে নেয় ব্রাজিল। ১৯৯৮ বিশ্বকাপ চিলির বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে বাজ্জোর দক্ষতায় শেষ মূহুর্তে ইতালি পেনাল্টি অর্জন করে। পেনাল্টিতে গোল করে বাজ্জো খেলায় সমতা আনেন। ম্যাচটি ২-২ এ ড্র হয়। অস্ট্রিয়ার বিপক্ষে জয়সূচক গোলটিও আসে তার পা থেকে। কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে দ্বিতীয়ার্ধে তাকে নামানো হয়। ম্যাচে ইতালির সবচেয়ে সম্ভাবনাময় আক্রমণটির রূপকার ছিলেন তিনি। অতিরিক্ত সময় শেষে ম্যাচটি পেনাল্টিতে গড়ায়। বাজ্জো গোল করলেও ব্যর্থ হন ডি বিয়াজো। ইতালি টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নেয়। ফর্মের শিখরে থাকা সত্ত্বেও দেল পিয়েরোকে বাজ্জোর চাইতে বেশি সুযোগ দেয়ায় কোচ সেজার মালদিনিকে ব্যাপক সমালোচনার সম্মুখীন হতে হয়। অবসর পরবর্তী জীবন সম্মান এবং পুরস্কার ধর্ম বাজ্জো উত্তারাধিকার সূত্রে ক্যাথলিক ছিলেন । পরে বৌদ্ধ ধর্মে দীক্ষিত হন। রেকর্ড ইতালির পক্ষে বিশ্বকাপের মূলপর্বে ১৬ ম্যাচে ৯ গোল করেন, যা একটি ইতালীয় রেকর্ড । "সেরি আ" লীগে ৮৬ ভাগ পেনাল্টি সফলভাবে নিয়েছেন । ১২২ পেনাল্টির মধ্যে ১০৬ টিতেই গোল করেছেন । বাজ্জোর অংশগ্রহণ করা তিনটি বিশ্বকাপে ইতালি মাত্র একটি ম্যাচ হেরে যায়। সেটি ১৯৯৪ সালে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে। ১৯৯০ সালে আর্জেন্টিনা, ১৯৯৪ সালে ব্রাজিল, ১৯৯৮ সালে ফ্রান্সের বিপক্ষে ইতালি পেনাল্টি শুট-আউটে বিদায় নেয়। বিষয়শ্রেণী:ইতালীয় ফুটবলার বিষয়শ্রেণী:ইতালির আন্তর্জাতিক ফুটবলার বিষয়শ্রেণী:ইউরোপীয় বর্ষসেরা ফুটবলার বিষয়শ্রেণী:১৯৬৭-এ জন্ম বিষয়শ্রেণী:জীবিত ব্যক্তি বিষয়শ্রেণী:বোলোনিয়া ফুটবল ক্লাব ১৯০৯-এর খেলোয়াড় বিষয়শ্রেণী:ব্রেশা কালচোর খেলোয়াড় বিষয়শ্রেণী:এসিএফ ফিওরেন্তিনার খেলোয়াড় বিষয়শ্রেণী:ইন্টার মিলানের খেলোয়াড় বিষয়শ্রেণী:ইয়ুভেন্তুস ফুটবল ক্লাবের খেলোয়াড় বিষয়শ্রেণী:এসি মিলানের খেলোয়াড় বিষয়শ্রেণী:ভিচেনৎসা ভির্তুসের খেলোয়াড় বিষয়শ্রেণী:সেরিয়ে আ-এর খেলোয়াড় বিষয়শ্রেণী:বালোঁ দর বিজয়ী
রবের্তো বাজ্জো
জোসেফ কেভিন কিগান ওবিই (; জন্ম: ১৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৫১; কেভিন কিগান নামে সুপরিচিত) হলেন একজন প্রাক্তন ইংরেজ পেশাদার ফুটবল খেলোয়াড় এবং ম্যানেজার। তিনি তার খেলোয়াড়ি জীবনের অধিকাংশ সময় ইংল্যান্ডের পেশাদার ফুটবল ক্লাব লিভারপুল এবং ইংল্যান্ড জাতীয় ফুটবল দলের হয়ে একজন আক্রমণভাগের খেলোয়াড় হিসেবে খেলেছেন। তিনি মূলত একজন কেন্দ্রীয় আক্রমণভাগের খেলোয়াড় হিসেবে খেললেও মাঝেমধ্যে আক্রমণাত্মক মধ্যমাঠের খেলোয়াড় অথবা ডান পার্শ্বীয় খেলোয়াড় হিসেবে খেলেছেন। ইংরেজ ফুটবল ক্লাব ইনফিল্ড হাউজ ওয়াইসির যুব পর্যায়ের হয়ে খেলার মাধ্যমে কিগান ফুটবল জগতে প্রবেশ করেন; অতঃপর স্কানথোর্প ইউনাইটেডের হয়ে খেলার মাধ্যমে তিনি ফুটবল খেলায় বিকশিত হয়েছেন। ১৯৬৮–৬৯ মৌসুমে, স্কানথোর্প ইউনাইটেডের জ্যেষ্ঠ পর্যায়ের হয়ে খেলার মাধ্যমে তিনি তার জ্যেষ্ঠ পর্যায়ের খেলোয়াড়ী জীবন শুরু করেন। স্কানথোর্প ইউনাইটেডে তিনি ৩ মৌসুম অতিবাহিত করেছেন; যেখানে তিনি ১২৪ ম্যাচে ১৮টি গোল করেছেন। অতঃপর ১৯৭১–৭২ মৌসুমে, ৪০ হাজার ইউরোর বিনিময়ে লিভারপুলে যোগদান করেন, যেখানে তিনি তার খেলোয়াড়ি জীবনের অধিকাংশ সময় অতিবাহিত করেছেন। লিভারপুলের হয়ে সকল প্রতিযোগিতায় তিনি ৩২৩ ম্যাচে ১০০টি গোল করেছেন। পরবর্তীতে তিনি হামবুর্গার এসভি, সাউদাম্পটন এবং নিউক্যাসেল ইউনাইটেডের হয়ে খেলেছেন। সর্বশেষ ১৯৮৪–৮৫ মৌসুমে, তিনি নিউক্যাসেল ইউনাইটেড হতে ব্ল্যাকটাউন সিটিতে যোগদান করেছিলেন, যেখানে তিনি ১ মৌসুম অতিবাহিত করে অবসর গ্রহণ করেছেন। ১৯৭২ সালে, কিগান ইংল্যান্ডের হয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অভিষেক করেছিলেন, যেখানে তিনি ৬৩ ম্যাচে ২১টি গোল করেছেন। তিনি ১৯৮২ ফিফা বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ব্যক্তিগতভাবে, কিগান বেশ কিছু পুরস্কার জয়লাভ করেছেন, যার মধ্যে ১৯৭৮ ও ১৯৭৯ বালোঁ দর জয় অন্যতম; এছাড়াও তিনি ফিফা ১০০-এ স্থান পেয়েছেন। দলগতভাবে, ঘরোয়া ফুটবলে, কিগান খেলোয়াড় হিসেবে সর্বমোট ১০টি শিরোপা জয়লাভ করেছেন, যার মধ্যে ৯টি লিভারপুলের হয়ে এবং ১টি হামবুর্গার এসভির হয়ে জয়লাভ করেছেন। পরিসংখ্যান খেলোয়াড় উৎস: আন্তর্জাতিক উৎস: ম্যানেজার তথ্যসূত্র বহি:সংযোগ এলএফসিহিস্টোরি.নেটে কেভিন কিগান স্পোর্টিং-হিরোস.নেটে কেভিন কিগান লন্ডনহার্টস.কমে কেভিন কিগান বিষয়শ্রেণী:জীবিত ব্যক্তি বিষয়শ্রেণী:১৯৫১-এ জন্ম বিষয়শ্রেণী:ইংরেজ ফুটবলার বিষয়শ্রেণী:ইংল্যান্ডের আন্তর্জাতিক ফুটবলার বিষয়শ্রেণী:আইরিশ বংশোদ্ভূত ইংরেজ ব্যক্তি বিষয়শ্রেণী:ফুটবল ফরোয়ার্ড বিষয়শ্রেণী:লিভারপুল ফুটবল ক্লাবের খেলোয়াড় বিষয়শ্রেণী:ব্ল্যাকটাউন সিটি এফসি খেলোয়াড় বিষয়শ্রেণী:ইংরেজ ফুটবল লীগের খেলোয়াড় বিষয়শ্রেণী:বুন্দেসলিগার খেলোয়াড় বিষয়শ্রেণী:ফিফা ১০০ বিষয়শ্রেণী:১৯৮২ ফিফা বিশ্বকাপের খেলোয়াড় বিষয়শ্রেণী:জার্মানিতে প্রবাসী ফুটবলার বিষয়শ্রেণী:অফিসার্স অব দি অর্ডার অব দ্য ব্রিটিশ এম্পায়ার বিষয়শ্রেণী:প্রিমিয়ার লীগের ম্যানেজার বিষয়শ্রেণী:নিউক্যাসেল ইউনাইটেড ফুটবল ক্লাবের খেলোয়াড় বিষয়শ্রেণী:স্কানথর্প ইউনাইটেড ফুটবল ক্লাবের খেলোয়াড় বিষয়শ্রেণী:সাউদাম্পটন ফুটবল ক্লাবের খেলোয়াড় বিষয়শ্রেণী:হামবুর্গার স্পোর্টস ক্লাবের খেলোয়াড় বিষয়শ্রেণী:বালোঁ দর বিজয়ী
কেভিন কিগান
মাইকেল জেমস ওয়েন (জন্মঃ ১৪ ডিসেম্বর, ১৯৭৯) সাবেক ইংলিশ ফুটবল খেলোয়াড় যিনি লিভারপুল, রিয়াল মাদ্রিদ, নিউক্যাসেল, ম্যানচেস্টার ও স্টোক সিটির হয়ে খেলেছেন এবং ইংল্যান্ড জাতীয় দলের হয়ে খেলেছেন। তথ্যসূত্র বহিঃ সংযোগ বিষয়শ্রেণী:ইউরোপীয় বর্ষসেরা ফুটবলার বিষয়শ্রেণী:ইংরেজ ফুটবলার বিষয়শ্রেণী:লিভারপুল ফুটবল ক্লাবের খেলোয়াড় বিষয়শ্রেণী:রিয়াল মাদ্রিদ ফুটবল ক্লাবের খেলোয়াড় বিষয়শ্রেণী:ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ফুটবল ক্লাবের খেলোয়াড় বিষয়শ্রেণী:নিউক্যাসেল ইউনাইটেড ফুটবল ক্লাবের খেলোয়াড় বিষয়শ্রেণী:স্টোক সিটি ফুটবল ক্লাবের খেলোয়াড় বিষয়শ্রেণী:লা লিগার খেলোয়াড় বিষয়শ্রেণী:প্রিমিয়ার লীগের খেলোয়াড় বিষয়শ্রেণী:বালোঁ দর বিজয়ী
মাইকেল ওয়েন
অ্যান্ড্রিউ আলেকজান্ডার "অ্যান্ডি"কোল (জন্ম অক্টোবর ১৫ ১৯৭১ নটিংহ্যাম) একজন ইংরেজ ফুটবল খেলোয়াড়, যিনি এই খেলার ইতিহাসে সর্বোচ্চ গোলদাতার শীর্ষ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন। বর্তমানে তিনি সান্ডারল্যান্ড দলের পক্ষে খেলেন। তিনি অ্যান্ডি কোল নামেই সমধিক পরিচিত। ১৯৯০ সাল থেকেই এই নামে পরিচিত হলেও ২০০ সাল থেকে তিনি অ্যান্ড্রু কোল হিসেবে পরিচিত হবার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:১৯৭১-এ জন্ম বিষয়শ্রেণী:ইংরেজ ফুটবলার বিষয়শ্রেণী:ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ফুটবল ক্লাবের খেলোয়াড় বিষয়শ্রেণী:আর্সেনাল ফুটবল ক্লাবের খেলোয়াড় বিষয়শ্রেণী:বার্মিংহ্যাম সিটি ফুটবল ক্লাবের খেলোয়াড় বিষয়শ্রেণী:ব্ল্যাকবার্ন রোভার্স ফুটবল ক্লাবের খেলোয়াড় বিষয়শ্রেণী:ব্রিস্টল সিটি ফুটবল ক্লাবের খেলোয়াড় বিষয়শ্রেণী:বার্নলি ফুটবল ক্লাবের খেলোয়াড় বিষয়শ্রেণী:ফুলহ্যাম ফুটবল ক্লাবের খেলোয়াড় বিষয়শ্রেণী:ম্যানচেস্টার সিটি ফুটবল ক্লাবের খেলোয়াড় বিষয়শ্রেণী:নিউক্যাসেল ইউনাইটেড ফুটবল ক্লাবের খেলোয়াড় বিষয়শ্রেণী:নটিংহ্যাম ফরেস্ট ফুটবল ক্লাবের খেলোয়াড় বিষয়শ্রেণী:পোর্টসমাথ ফুটবল ক্লাবের খেলোয়াড় বিষয়শ্রেণী:সান্ডারল্যান্ড এএফসির খেলোয়াড় বিষয়শ্রেণী:প্রিমিয়ার লীগের খেলোয়াড়
অ্যান্ডি কোল
গ্যারি আলেক্সান্ডার নেভিল (জন্ম ফেব্রুয়ারি ১৮, ১৯৭৫ গ্রেটার ম্যানচেস্টারের বারি অঞ্চলে) একজিন ইংরেজ ফুটবলার যিনি ইংল্যান্ডের পক্ষে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলা রক্ষনভাগের খেলোয়াড়। তিনি রাইট ফুল ব্যাক হিসেবে খেলে থাকেন। তিনি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের অধিনায়ক ছিলেন পাঁচ বছর। ওল্ড ট্রাফোর্ডে নেভিলের ক্যারিয়ার শুরু হয় সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার হিসেবে কিন্তু পরে তিনি ফুল ব্যাকে পরিনত হন কেননা তিনি মনে করেছিলেন মধ্যমাঠে খেলার জন্য তার উচ্চতা কম। ১৯৯৫ সালে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তার অভিষেক ঘটে। বিগত দশ বছর ধরে রাইট ব্যাক হিসেবে তিনি দলের প্রথম পছন্দ। ব্যক্তিগত জীবন গ্যারি নেভিলের জন্ম হয়েছে একটি বিশাল ক্রীড়া পরিবারে; তার ছোট ভাই ফিল নেভিল একজন ফুটবলার এবং তাদের বোন ট্রেসি নেভিল নেটবলে ইংল্যান্ডের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। তাদের পিতা নেভিল নেভিল ফুটবলের বাণিজ্যিক বিভাগে কাজ করতেন। ১৯৯০ দশকে তিনি বারিতে এক মৌসুম কাজ করেছেন। তখন থেকেই মূলত তার ছেলেরা সাফল্য পেতে শুরু করে। ২০০৫ সালে ফিল এভারটনে যোগ দেয়ার আগে, গ্যারি ও ফিল নেভিল দলগত ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে একসাথে খেলেছেন। এমনকি তারা যখন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে একসাথে খেলতেন তখন মূল একাদশে সুযোগ পাওয়ার ব্যাপারে তাদের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বীতা ছিল। গ্যারির বাগদত্তা হচ্ছেন ২৬ বছর বয়সী এমা হাডফিল্ড, যার সাথে গ্যারির সম্পর্ক তিন বছরের। ২০০৪ সালের আগস্টে দ্য সান পত্রিকা একটি সংবাদ প্রকাশ করে দাবী করে এমা গ্যারির সাথে প্রতারনা করেছেন যখন গ্যারি ইংল্যান্ডের হয়ে পর্তুগালের বিপক্ষে খেলছেন। এমা পত্রিকার কাছে তাৎক্ষণিত ক্ষমা দাবী করেন, যা দিতে অস্বীকৃতি জানানোর পর পত্রিকার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। ২০০৫ সালের মে মাসে উভয় পক্ষের সম্মতিতে সান এমাকে ৭৫,০০০ পাউন্ড ক্ষতিপূরণ দেয়। ২০০৭ সালের জুন ১৬ তারিখে তারা বিয়ের পরিকল্পনা করছেন, যেদিন তার ইংল্যান্ড সতীর্থ স্টিভেন জেরার্ড (অ্যালেক্স কুরানের সাথে) এবং মাইকেল ক্যারিকও বিয়ে করবেন সম্মাননা কেবল প্রধান সম্মনানাগুলি এফ.এ. প্রিমিয়ার লীগ (৭): ১৯৯৫/১৯৯৬, ১৯৯৬/১৯৯৭, ১৯৯৮/১৯৯৯, ১৯৯৯/২০০০, ২০০০/২০০১, ২০০২/২০০৩, ২০০৬/২০০৭ উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লীগ (১): ১৯৯৮/১৯৯৯ এফ.এ. কাপ (৩): ১৯৯৬, ১৯৯৯, ২০০৪ লীগ কাপ (১): ২০০৬ তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ Gary Neville career stats at Soccerbase Gary Neville Player Profile from Carling Gary Neville: Legend Fans view on United captain বিষয়শ্রেণী:ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ফুটবল ক্লাবের খেলোয়াড় বিষয়শ্রেণী:প্রিমিয়ার লীগের খেলোয়াড় বিষয়শ্রেণী:২০০৬ ফিফা বিশ্বকাপের খেলোয়াড় বিষয়শ্রেণী:ইংরেজ ফুটবলার বিষয়শ্রেণী:ফুটবল (সকার) ফুলব্যাক বিষয়শ্রেণী:১৯৭৫-এ জন্ম বিষয়শ্রেণী:লা লিগার ম্যানেজার
গ্যারি নেভিল
হুয়ান সেবাস্তিয়ান ভেরন (, ; জন্ম ৯ মার্চ ১৯৭৫) একজন আর্জেন্টিনীয় ফুটবলার। তিনি বর্তমানে আর্জেন্টিনীয় ক্লাব এস্তুদিয়ান্তেস দে লা প্লাতায় খেলেন। এছাড়া তিনি সেখানে ক্রীড়া পরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ Transfermarkt-এ প্রোফাইল বিষয়শ্রেণী:১৯৭৫-এ জন্ম বিষয়শ্রেণী:জীবিত ব্যক্তি বিষয়শ্রেণী:আর্জেন্টিনীয় ফুটবলার বিষয়শ্রেণী:ফুটবল মধ্যমাঠের খেলোয়াড় বিষয়শ্রেণী:১৯৯৮ ফিফা বিশ্বকাপের খেলোয়াড় বিষয়শ্রেণী:২০০২ ফিফা বিশ্বকাপের খেলোয়াড় বিষয়শ্রেণী:২০১০ ফিফা বিশ্বকাপের খেলোয়াড় বিষয়শ্রেণী:২০০৭ কোপা আমেরিকার খেলোয়াড় বিষয়শ্রেণী:এস্তুদিয়ান্তেস দে লা প্লাতা ফুটবলার বিষয়শ্রেণী:বোকা জুনিয়র্সের খেলোয়াড় বিষয়শ্রেণী:পারমা কালচো ১৯১৩-এর খেলোয়াড় বিষয়শ্রেণী:ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ফুটবল ক্লাবের খেলোয়াড় বিষয়শ্রেণী:চেলসি ফুটবল ক্লাবের খেলোয়াড় বিষয়শ্রেণী:লাৎসিয়ো স্পোর্টস ক্লাবের খেলোয়াড় বিষয়শ্রেণী:উনিওনে কালচো সাম্পদোরিয়ার খেলোয়াড় বিষয়শ্রেণী:ইন্টার মিলানের খেলোয়াড় বিষয়শ্রেণী:প্রিমেরা দিভিসিওন আর্জেন্টিনা খেলোয়াড় বিষয়শ্রেণী:প্রিমিয়ার লীগের খেলোয়াড় বিষয়শ্রেণী:সেরিয়ে আ-এর খেলোয়াড়
হুয়ান সেবাস্তিয়ান ভেরন
ফিলিপ্পো ইনজাঘি একজন ইতালীয় ফুটবলার। তিনি ২০০১ সাল থেকে ইতালীয় ফুটবল ক্লাব এসি মিলানে খেলে আসছেন। তিনি ইতালি জাতীয় দলের হয়ে ৫৭ ম্যাচে ২৫ গোল করেছেন। বিষয়শ্রেণী:ইতালীয় ফুটবলার বিষয়শ্রেণী:ইতালির আন্তর্জাতিক ফুটবলার বিষয়শ্রেণী:১৯৭৩-এ জন্ম বিষয়শ্রেণী:উনিওনে কালচো আলবিনোলেফফের খেলোয়াড় বিষয়শ্রেণী:আতালান্তা বেরগামাস্কা কালচোর খেলোয়াড় বিষয়শ্রেণী:ইয়ুভেন্তুস ফুটবল ক্লাবের খেলোয়াড় বিষয়শ্রেণী:এসি মিলানের খেলোয়াড় বিষয়শ্রেণী:পারমা কালচো ১৯১৩-এর খেলোয়াড় বিষয়শ্রেণী:পিয়াচেনৎসা কালচো ১৯১৯-এর খেলোয়াড় বিষয়শ্রেণী:এল্লাস ভেরোনা ফুটবল ক্লাবের খেলোয়াড় বিষয়শ্রেণী:সেরিয়ে আ-এর ম্যানেজার
ফিলিপ্পো ইনজাঘি
মাসিমো আমব্রোসিনি একজন ইতালীয় ফুটবলার। এসি মিলানের রক্ষণভাগে খেলেন। বিষয়শ্রেণী:ইতালীয় ফুটবলার বিষয়শ্রেণী:ইতালির আন্তর্জাতিক ফুটবলার বিষয়শ্রেণী:আসোচাৎসিওনে কালচো চেজেনার খেলোয়াড় বিষয়শ্রেণী:এসিএফ ফিওরেন্তিনার খেলোয়াড় বিষয়শ্রেণী:এসি মিলানের খেলোয়াড় বিষয়শ্রেণী:ভিচেনৎসা ভির্তুসের খেলোয়াড় বিষয়শ্রেণী:সেরিয়ে আ-এর খেলোয়াড়
মাসসিমো আমব্রোসিনি
মার্ক এডোওয়ার্ড ওয়াহ (; জন্ম জুন ২, ১৯৬৫, সিডনি), অস্ট্রেলিয়ার সাবেক ক্রিকেটার, যিনি ১৯৯১ থেকে ২০০২ সালের শেষভাগ পর্যন্ত টেস্ট ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলকে নেতৃত্ব দেন। তিনি একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচে ১৯৮৮ সালে আত্মপ্রকাশ করেন। তার ডাক নাম জুনিয়র, তিনি তার ভাই স্টিভ ওয়াহের চেয়ে বয়সে মাত্র কয়েক মিনিটের ছোট। প্রারম্ভিক জীবন রজার এবং বেভারলি ওয়াহ দম্পতির যমজ সন্তান মার্ক ওয়াহ ক্যান্টারবারি হাসপাতালে ২ জুন, ১৯৬৫ তারিখ জন্মগ্রহণ করেন। সহোদর ও সাবেক অস্ট্রেলীয় ব্যাটসম্যান স্টিভ ওয়াহের চেয়ে তিনি চার মিনিট পরে ভূমিষ্ঠ হন। বাবা রজার ওয়াহ ব্যাংক কর্মকর্তা এবং মা বেভারলি ওয়াহ ছিলেন শিক্ষিকা। তাদের পরিবার সাউথ-ওয়েস্টার্ন সিডনী’র নিকটবর্তী গ্রাম পানানিয়ায় বসবাস করতেন। অস্ট্রেলিয়ার প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটার ডিন ওয়াহ ও ড্যানি ওয়াহ তাদের আরো দুই ভাই আছে। শিশুকালেই পিতা-মাতা সন্তানদেরকে ক্রীড়ানুরাগী হতে যথেষ্ট সহায়তা করেন। ছয় বছর বয়সেই যমজ ভাইয়েরা ফুটবল, টেনিস ও ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করে। জীবনের প্রথম ক্রিকেট খেলায় ভ্রাতৃদ্বয় শূন্য রানে আউট হয়েছিলেন। ১৯৮৩ সালে তারা উচ্চ বিদ্যালয়ের পড়াশুনো শেষ করেন। ১৯৮৩-৮৪ মৌসুমে উভয়েই নিউ সাউথ ওয়েলস কম্বাইন্ড হাইস্কুল ও অনূর্ধ্ব-১৯ রাজ্যদলের সদস্য ছিলেন। তারপর দু’জনেই অস্ট্রেলিয়া দলে প্রথমবারের মতো মনোনীত হন। তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার বিষয়শ্রেণী:১৯৬৫-এ জন্ম বিষয়শ্রেণী:জীবিত ব্যক্তি বিষয়শ্রেণী:অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট ক্রিকেটার বিষয়শ্রেণী:অস্ট্রেলিয়ার একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার বিষয়শ্রেণী:১৯৯২ ক্রিকেট বিশ্বকাপের ক্রিকেটার বিষয়শ্রেণী:১৯৯৬ ক্রিকেট বিশ্বকাপের ক্রিকেটার বিষয়শ্রেণী:১৯৯৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপের ক্রিকেটার বিষয়শ্রেণী:নটিংহ্যামশায়ারের ক্রিকেটার বিষয়শ্রেণী:নিউ সাউথ ওয়েলসের ক্রিকেটার বিষয়শ্রেণী:এসেক্সের ক্রিকেটার বিষয়শ্রেণী:ম্যাশোনাল্যান্ডের ক্রিকেটার বিষয়শ্রেণী:যমজ ক্রীড়াবিদ
মার্ক ওয়াহ
গ্লেন ডোনাল্ড ম্যাকগ্রা (; জন্ম: ফেব্রুয়ারি ৯, ১৯৭০, ডুব্বো, নতুন দক্ষিণ ওয়ালস) বিখ্যাত অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার। তিনি ক্রিকেটের ইতিহাসে, সর্বাপেক্ষা উচ্চভাবে বিবেচিত এক ফাস্ট বোলার এবং মধ্য ১৯৯০ থেকে ২০০৮ বিশ্ব ক্রিকেটে অস্ট্রেলিয়ার কৃর্তৃত্বে একজন নেতৃত্বদানকারী। তিনি ফাস্ট বোলারদের মধ্যে টেস্টে সর্বোচ্চ উইকেটের নেওয়ার পৃথিবী রেকর্ডের অধিকারী। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৯৪৯টি উইকেট শিকার করেন, যা ফাস্ট বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ। বিশ্বকাপ সাফল্য ম্যাকগ্রা ১৯৯৬ থেকে ২০০৭ পর্যন্ত ৪টি বিশ্বকাপ খেলেন, এই সময় অস্ট্রেলিয়া ৪বারই ফাইনালে যায় এবং ৩ বার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়। ম্যাকগ্রা বিশ্বকাপে ৭১টি উইকেট নেন, যা বিশ্বকাপ রেকর্ড। টেস্ট ক্যারিয়ার ম্যাকগ্রা’র টেস্ট ক্যারিয়ার ছিল অসাধারণ, তিনি ৮০টির উপরে টেস্ট ম্যাচ জয় করেন ও ৫৬৩টি উইকেট নেন। শেন ওয়ার্ন, ব্রেট লি ও জেসন গিলেস্পির সাথে তার বোলিং জুটি খুবই জনপ্রিয় ছিল। ব্যক্তিগত জীবন ম্যাকগ্রার স্ত্রী সারা লিওনারর্দি ও তার দুইজন সন্তান রয়েছে। ম্যাকগ্রার প্রথম স্ত্রী জেন ম্যাকগ্রা ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ২০০৮ সালে মারা যান। বর্তমানে ম্যাকগ্রা "জেন ম্যাকগ্রা" সংগঠনের প্রধান, এই সংগঠনের প্রাপ্ত অর্থ স্তন ক্যান্সার আক্রান্ত নারীদের চিকিৎসায় ব্যয় করা হয়। তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ GLENN MCGRATH: LINE AND STRENGTH – THE COMPLETE STORY by Glenn McGrath বিষয়শ্রেণী:১৯৭০-এ জন্ম বিষয়শ্রেণী:জীবিত ব্যক্তি বিষয়শ্রেণী:১৯৯৬ ক্রিকেট বিশ্বকাপের ক্রিকেটার বিষয়শ্রেণী:১৯৯৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপের ক্রিকেটার বিষয়শ্রেণী:২০০৩ ক্রিকেট বিশ্বকাপের ক্রিকেটার বিষয়শ্রেণী:২০০৭ ক্রিকেট বিশ্বকাপের ক্রিকেটার বিষয়শ্রেণী:অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার বিষয়শ্রেণী:অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট ক্রিকেটার‎ বিষয়শ্রেণী:অস্ট্রেলিয়ার একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার বিষয়শ্রেণী:অস্ট্রেলিয়ার টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার বিষয়শ্রেণী:আইসিসি বিশ্ব একাদশ একদিনের আন্তর্জাতিকের ক্রিকেটার বিষয়শ্রেণী:আইরিশ বংশোদ্ভূত অস্ট্রেলীয় বিষয়শ্রেণী:অ্যালান বর্ডার পদক বিজয়ী বিষয়শ্রেণী:অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট হল অব ফেমে প্রবেশকারী বিষয়শ্রেণী:ওডিআই বিশ্বকাপে ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্ট বিজয়ী বিষয়শ্রেণী:অস্ট্রেলিয়ান ইনস্টিটিউট অব স্পোর্টসের ক্রিকেটার বিষয়শ্রেণী:ওরচেস্টারশায়ারের ক্রিকেটার বিষয়শ্রেণী:উইজডেন বর্ষসেরা ক্রিকেটার বিষয়শ্রেণী:টেস্ট ক্রিকেটে হ্যাট্রিক লাভকারী বিষয়শ্রেণী:দিল্লি ক্যাপিটালসের ক্রিকেটার বিষয়শ্রেণী:নিউ সাউথ ওয়েলসের ক্রিকেটার বিষয়শ্রেণী:মিডলসেক্সের ক্রিকেটার বিষয়শ্রেণী:মেম্বার্স অব দি অর্ডার অব অস্ট্রেলিয়া বিষয়শ্রেণী:স্পোর্ট অস্ট্রেলিয়া হল অব ফেমে প্রবেশকারী
গ্লেন ম্যাকগ্রা
বিনোদ কাম্বলি (ইংরেজি: Vinod Ganpat Kambli) ( (জন্ম ১৮ জানুয়ারি ১৯৭২, মুম্বই, মহারাষ্ট্র, ভারত)বম্বে (মুম্বাই) জন্মগ্রহণকারী ভারতের প্রাক্তন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। তিনি মাঝারি সারির বাঁ হাতি ব্যাটসম্যানরূপে পরিচিত। এছাড়াও, ডানহাতে ধীরে মিডিয়াম পেস বোলিং করতেন। তিনি মুম্বাই এবং দক্ষিণ আফ্রিকার বোল্যান্ডের হয়েও ক্রিকেটা খেলেছিলেন। তিনি প্রথম ব্যক্তি যিনি নিজের জন্মদিনে ওয়ানডেতে সেঞ্চুরি করেছিলেন। ভারতীয় টেস্ট ক্রিকেটার হিসাবে তাঁর ছিল সর্বোচ্চ ব্যাটিং গড় ৫৪। তবে তা স্বত্বেও মাত্র ২৩ বছর বয়সে তিনি তাঁর সর্বশেষ টেস্ট ক্রিকেট খেলেছিলেন। এরপরে, থেকে তাঁকে কেবল একদিনের ক্রিকেট খেলতে হবে বলে মনে করা হয় এবং আর টেস্ট ক্রিকেট খেলার সুযোগ দেওয়া হয়নি। তিনি বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলে ভাষ্যকার হিসাবে হাজির হয়েছিলেন এবং ২০১২ ক্রিকেট বিশ্বকাপের ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ হিসাবে মারাঠি নিউজ চ্যানেলের সাথে কাজ করেছেন। তিনি বিভিন্ন রিয়েলিটি শোতেও অংশ নিয়েছেন এবং অভিনেতা হিসাবে কয়েকটি সিরিয়াল ও বলিউড চলচিত্রে অভিনয় করেছেন। তিনি কান্নাডা চলচ্চিত্রে 'বেতনাগর'-এ সহায়ক ভূমিকা পালন করেছিলেন। কাম্বলি বর্তমানে মুম্বাইয়ের এমসিএ একাডেমির আর শচীন তেন্ডুলকর এবং মিডলসেক্স কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাব পরিচালিত টিএমজিএ ক্যাম্পাসের কোচ। প্রাথমিক জীবন কাম্বলির বাড়ি পুনের শহরতলি পিম্পরি চিঞ্চওয়াড়ের ইন্দিরা নগরে। তাঁর শৈশব বন্ধু হলেন ভারতীয় ক্রিকেটার শচীন তেন্ডুলকর। কাম্বলির প্রথম ক্রিকেট পিচ ছিল একটি ছোট্ট জমি যার চারদিকে উঁচু বাড়ি দিয়ে ঘেরা। দৌড়ে রান করার জায়গার অভাবে নির্ধারিত হয়েছিল যে ব্যাটসম্যান যত উঁচু বল বিল্ডিংগুলিতে মারতে পারবে সে তত বেশি রান করতে পারবে। এটি ব্যাখ্যা করা যে হয়তো তাঁর জন্যই কাম্বলি স্পিন বোলিং খেলার অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান ছিলেন। খেলোয়াড়ী জীবন স্কুল ক্রিকেট ১৯৮৮ সালে, কাম্বলি তাঁর বন্ধু শচীন তেন্ডুলকরকে সঙ্গে লর্ড হ্যারিস শীল্ড আন্তঃ স্কুল প্রতিযোগিতায় ফোর্টের সেন্ট জেভিয়ার্স হাই স্কুলের বিরুদ্ধে ৬৬৪ রানের রেকর্ড পার্টনারশিপ করেন। এই খেলায় কাম্বলি করেন অপরাজিত ৩৪৯* এবং শচীন করেন অপরাজিত ৩২৬* রান। তাদের কোচ রমাকান্ত আচরেকরের ইনিংস ঘোষণা করতে বাধ্য করেন; তারপর কাম্বলি প্রথম ইনিংসে ৩৭ রানে দিয়ে ছয় উইকেট নিয়ে নেন। ঘরোয়া ক্রিকেট কাম্বলি রঞ্জি ট্রফিতে তার জীবনের প্রথম রানের একটি ছক্কা মেরে শুরু করেছিলেন। তিনি তার ওয়ানডে আন্তর্জাতিক এবং টেস্ট অভিষেক যথাক্রমে ১৯৯১ এবং ১৯৯৯ সালে করেন। তিনি টেস্টে ক্রিকেটে মোট চারটি শতরান যার মধ্যে দুটি দ্বি-শতরান আছে। টেস্টে ১০০০ রানে পৌঁছে যাওয়া ভারতীয় খেলোয়াড়ের (১৪ ইনিংস) মধ্যে দ্রুততম রেকর্ডটি তাঁরই করা। টেস্ট ডাবল সেঞ্চুরি তালিকা তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ Cricinfo Player Profile : Vinod Ganpat Kambli বিষয়শ্রেণী:ভারতীয় ক্রিকেটার বিষয়শ্রেণী:১৯৭২-এ জন্ম বিষয়শ্রেণী:জীবিত ব্যক্তি বিষয়শ্রেণী:ভারতের টেস্ট ক্রিকেটার বিষয়শ্রেণী:ভারতের একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার বিষয়শ্রেণী:চলচ্চিত্রে অভিনয়কারী ক্রিকেটার বিষয়শ্রেণী:ভারতীয় খ্রিস্টান বিষয়শ্রেণী:ধর্মান্তরিত খ্রিস্টান বিষয়শ্রেণী:পশ্চিম অঞ্চলের ক্রিকেটার বিষয়শ্রেণী:মুম্বইয়ের ক্রিকেটার বিষয়শ্রেণী:বোল্যান্ডের ক্রিকেটার বিষয়শ্রেণী:মারাঠি খ্রিস্টান বিষয়শ্রেণী:সাবেক হিন্দু
বিনোদ কাম্বলি
মাউস - পার্সোনাল কম্পিউটারের অংশ। মাউস - ইঁদুর, ছোট প্রাণী। মাউস - আর্ট স্পিগেলম্যান রচিত বিখ্যাত কমিক গ্রন্থ
মাউস (দ্ব্যর্থতা নিরসন)
আনা কুর্নিকোভা (Russian: , আনা কুর্নিকোভা; জন্ম জুন ৭ ১৯৮১) রুশ টেনিস খেলোয়াড় এবং মোডেল যিনি বলতে গেলে টেনিস থেকে অবসর গ্রহণ করেছেন। টেনিস খেলাই তাকে তারকা খ্যাতি দেয়। খ্যাতির শীর্ষে থাকা অবস্থায় তার ছবির জন্য ভক্তকুল সার্চ ইঞ্জিনগুলোতে এতো বেশি অনুসন্ধান করতো যে সে সময় তার নামটি গুগুল সার্চ ইঞ্জিনের অনুসন্ধানকৃত শব্দগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি শব্দ ছিল। ব্যক্তিগত জীবন ১৯৮১ সালের ৭ই জুন সোভিয়েত রাশিয়ার মস্কোয় জন্মগ্রহণ করেন কুর্নিকোভা৷ বাবা সের্গেই ছিলেন কুস্তিগির আর মা আলা ছিলেন ৪০০ মিটার দৌড়বিদ। ২০০১ সালে কুর্নিকোভা বিয়ে করেন তারই স্বদেশী আইস হকি খেলোয়াড় সার্জেই ফেডরোভকে। ঠিক একই সময়ে আরেক আইস হকি খেলোয়াড় পাভেল বুরের সাথেও কুর্নিকোভার প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে গুঞ্জন ছিল। ফেডরোভের সাথে বিয়ের আগে থেকেই অর্থাৎ ১৯৯৯ সাল থেকেই পাভেলের সাথে কুর্নিকোভার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ২০০৩ সালে কুর্নিকোভার সাথে ফেডরোভের ডিভোর্স হয়ে যায়। এরপর অবশ্য কুর্নিকোভা ও পাভেলের প্রেমের বিষয়টি সম্পর্কে আর কোনো তথ্য জানা যায় নি। অবশ্য কুর্নিকোভা ও ফেডরোভের বিয়ে সম্পর্কেও কুর্নিকোভার ব্যক্তিগত সহকারী সঠিক কোনো তথ্য জানতেন না। কুর্নিকোভার প্রেম-বিয়ের রহস্যের জট খুলতে না খুলতেই আবার খবর বের হয় যে, পপস্টার এনরিক ইগলেসিয়াসের সাথে প্রেমে মজেছেন তাদের টেনিস-সুন্দরী কুর্নিকোভা। তারপর ২০০৩ ও ২০০৫ সালে আবার বিয়ের খবরও বের হয়। বিয়ের খবরের সাথে তাল মিলিয়ে দুজনের অস্বীকার খবরও প্রচার হতে থাকে বিশ্ব মিডিয়ায়। তবে ২০১১ সালেই নাকি তারা সেরেই রেখেছেন বিয়ের কাজ। ক্রীড়া জীবন পেশাদার টেনিসে কুর্নিকোভার অভিষেক হয় ১৯৯৫ সালে। ১৯৯৭ সালে মাত্র ১৬ বছর বয়সে টেনিসের বিশ্বকাপ উইম্বলডন ওপেনে অংশ নেন। সেবার শিরোপা জেতা না হলেও সেমিফাইনালে পৌঁছে এবং খেলার ধরন দিয়ে বুদ করে ফেলেন পুরো টেনিস বিশ্ব। একক ক্যারিয়ারে কোনো শিরোপা না থাকলেও মার্টিনা হিঙ্গিসের সঙ্গে জুটি বেঁধে পরপর দুই বছর ইউএস ওপেন জিতেছিলেন স্পোর্টস ইলাস্ট্রেটেড, ম্যাক্সিমসহ বিভিন্ন ফ্যাশন ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদে জায়গা করে নেওয়া এ রুশ টেনিসতারকা। একে একে ১৭টি ডাবলস জিতেন তিনি৷ এরপর ২০০৩ সালে পিঠের ব্যথার কারণে টেনিস জগৎ থেকে অবসর নিলেও, রুশ টেনিস তারকাদের জন্য পথ তৈরী করে দেন আনা কুর্নিকোভা৷ তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:১৯৮১-এ জন্ম বিষয়শ্রেণী:অস্ট্রেলিয়ান ওপেন বিজয়ী বিষয়শ্রেণী:মার্কিন নাগরিকত্ব প্রাপ্ত ব্যক্তি বিষয়শ্রেণী:রুশ মহিলা টেনিস খেলোয়াড় বিষয়শ্রেণী:মস্কোর টেনিস খেলোয়াড়
আনা কুর্নিকোভা
thumb|right|প্যাট ক্যাশ প্যাট্রিক হার্ট " প্যাট " ক্যাশ (জন্ম মে ২৭, ১৯৬৫, ভিক্টরিয়া) অস্ট্রেলিয়ার একজন প্রাক্তন পেশাদার টেনিস খেলোয়াড়। তিনি ১৯৮৭তে উইম্বলেডনে একক শিরোনাম জয়ের জন্য সেরা মনে করা হয়। বিষয়শ্রেণী:অস্ট্রেলীয় টেনিস খেলোয়াড় বিষয়শ্রেণী:১৯৬৫-এ জন্ম বিষয়শ্রেণী:হপম্যান কাপের প্রতিযোগী বিষয়শ্রেণী:উইম্বলডন বিজয়ী বিষয়শ্রেণী:উইম্বলডন জুনিয়র বিজয়ী
প্যাট ক্যাশ
গণশত্রু প্রখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক সত্যজিৎ রায় পরিচালিত একটি বাংলা চলচ্চিত্র। ১৯৮৯ সালে ছবিটি মুক্তি পায়। সমাজের সুবিধাভোগী শ্রেণী নিজেদের স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য সাধারণ মানুষের ধর্মবোধকে কিভাবে ব্যবহার করে, তা ছবিটিতে উঠে এসেছে। ছবিটি হেনরিক ইবসেনের An Enemy of the People অবলম্বনে তৈরি করা। এ চলচ্চিত্রে প্রগতিশীল ডাক্তারের চরিত্রে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, তার স্ত্রী মায়ার চরিত্রে রুমা গুহঠাকুরতা, কন্যা ইন্দ্রানী চরিত্রে মমতা শঙ্কর, ভাই এবং প্রশাসনের উচ্চ পদে আসীন নিশীথ চরিত্রে ধৃতিমান চট্টোপাধ্যায়, পত্রিকা সম্পাদক হরিদাস বাগচী চরিত্রে দীপঙ্কর দে, সাহসী সাংবাদিক বীরেশ চরিত্রে শুভেন্দু চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ অভিনয় করেন। এই চলচ্চিত্রটি ১৯৮৯ সালে কান চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শনের জন্য নির্বাচিত হয়েছিল। তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:সত্যজিৎ রায় পরিচালিত চলচ্চিত্র বিষয়শ্রেণী:বাংলা ভাষার চলচ্চিত্র বিষয়শ্রেণী:সত্যজিৎ রায়ের চিত্রনাট্য সম্বলিত চলচ্চিত্র বিষয়শ্রেণী:জাতীয় চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনের চলচ্চিত্র বিষয়শ্রেণী:সত্যজিৎ রায় সুরারোপিত চলচ্চিত্র বিষয়শ্রেণী:১৯৯০-এর দশকের বাংলা ভাষার চলচ্চিত্র
গণশত্রু
ওয়ার্লপুল ছায়াপথ ইংরেজি, Whirlpool Galaxy (অন্য নাম Messier 51, M51, NGC 5194) একটি আন্তঃক্রিয়াশীল ছায়াপথ। এটি একটি সর্পিল ছায়াপথও বটে। মিল্কি ওয়ে থেকে এর দূরত্ব ২৩±৪ আলোকবর্ষ। তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ StarDate: M51 Fact Sheet M51: Calar Alto Observatory SEDS: Spiral Galaxy M51 NASA's APOD: The Whirlpool Galaxy in Dust and Stars (4/10/01) NightSkyInfo.com – The Whirlpool Galaxy Whirlpool Galaxy at ESA/Hubble The Whirlpool Galaxy (Messier 51(a)/NGC 5194) Servicio de repación oficial Whirlpool M51 The Whirlpool Galaxy The Whirlpool Galaxy at Constellation Guide বিষয়শ্রেণী:মেসিয়ার বস্তু বিষয়শ্রেণী:এনজিসি বস্তু বিষয়শ্রেণী:পিজিসি বস্তু বিষয়শ্রেণী:ইউজিসি বস্তু বিষয়শ্রেণী:ছায়াপথ বিষয়শ্রেণী:কুণ্ডলিত ছায়াপথ
ওয়ার্লপুল ছায়াপথ
অংশচ্ছেদ হল কথ্যভাষায় কোন শব্দ বা শব্দযুগল পুরোপুরি উচ্চারণ না করে সামনের বা পেছনের কিছু অংশ বাদ দিয়ে ফেলা। যেমনঃ পাকিস্তানি সেনা = পাক সেনা। তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:ভাষাবিজ্ঞান
অংশচ্ছেদ (ভাষাবিজ্ঞান)
রাস্ট ইন পিস () ক্যালিফোর্নিয়া-ভিত্তিক মার্কিন থ্র্যাশ মেটাল ঘরানার সঙ্গীতদল মেগাডেথের স্টুডিওতে ধারণকৃত চতুর্থ সঙ্গীত-সঙ্কলন। ক্যাপিটাল রেকর্ডস কোম্পানি ১৯৯০ সালের ২৪শে সেপ্টেম্বর তারিখে সঙ্কলনটিকে বাজারে প্রকাশ করে। রাস্ট ইন পিস সঙ্কলনটিতে মেগাডেথের সদস্যতালিকায় নতুন দুই সঙ্গীতশিল্পীর আগমন ঘটে; এরা হলেন গিটারবাদক মার্টি ফ্রিডম্যান ও ড্রামবাদক নিক মেনজা। তারা প্রায় দশ বছর ধরে, অর্থাৎ ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত মেগাডেথের দলীয় গঠন স্থিতিশীল রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। এছাড়া সঙ্গীত সঙ্কলনটি থেকে দুইটি একক গান বাজারে প্রকাশ করা হয়। এগুলি হল হ্যাংগার এইটিন ও হোলি ওয়ার্স... দ্য পানিশমেন্ট ডিউ। বর্তমানে এই গানগুলি মেগাডেথ প্রায়ই দর্শকসমক্ষে সরাসরি পরিবেশনা করে। রাস্ট ইন পিস ভক্ত ও সমালোচক উভয়ের কাছেই ব্যাপক প্রশংসিত হয়। সঙ্গীত-সঙ্কলনটির সুবাদে মেগাডেথ মূলধারার মেটাল শ্রোতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়। ডেসিবেল ও কেরাং! সাময়িকীগুলির মতে এটি সর্বকালের সেরা থ্র্যাশ মেটার ঘরানার সঙ্গীতসঙ্কলনগুলির একটি। ৩৩তম গ্র্যামি পুরস্কার প্রতিযোগিতাতে সেরা মেটাল পরিবেশনা শ্রেণীতে এই সঙ্কলনটি মনোনয়ন লাভ করেছিল। রাস্ট ইন পিস-এর সঙ্গীত কাঠামো জটিল ও গানের কথা ভাবগম্ভীর, যাতে নিউক্লীয় ধ্বংসলীলা, যুদ্ধ, ধর্ম, ভূমণ্ডলীয় উষ্ণতা বৃদ্ধি ও অশনাক্ত উড়ন্ত বস্তুর মত বিষয়গুলি স্থান পেয়েছে। সঙ্কলনটির শব্দ-উৎপাদন (sound production) অত্যন্ত উচ্চমানের। প্রায় প্রতিটি গানেই দলনেতা ও গিটারবাদক ডেভ মাসটেইন এবং মূল গিটারবাদক মার্টি ফ্রিডম্যানের মধ্যে গিটারবাদনার দ্বৈতযুদ্ধের কারণে সঙ্কলনটির পরতে পরতে প্রচুর সংখ্যক অত্যন্ত দ্রুত, সুরেলা ও জটিল-কাঠামোবিশিষ্ট একক গিটারবাদন অংশের সমাহার ঘটেছে। এর পাশাপাশি কারিগরি জটিলতা, সুরের সমৃদ্ধতা, অত্যন্ত উচ্চ দক্ষতার বাদনক্ষমতা (বেজ গিটার ও ড্রামের ক্ষেত্রেও), থ্র্যাশ মেটালীয় অতিদ্রুত যন্ত্রবাদন ও হেভি মেটালীয় শক্তিশালী যন্ত্রবাদনের সুষম সমন্বয়—এ সবকিছুই এই সঙ্গীত সঙ্কলনটিকে শুধু মেগাডেথের ইতিহাসেই নয়, গোটা মেটাল ঘরানার ইতিহাসে এক অদ্বিতীয় স্থান দখল করতে সাহায্য করেছে। তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:১৯৯০-এর সঙ্গীত-সঙ্কলন বিষয়শ্রেণী:মেগাডেথের সঙ্গীত-সঙ্কলন
রাস্ট ইন পিস
১১ (XI) জুলীয় বর্ষপঞ্জীর একটি সাধারণ বছর যেটি বৃহস্পতিবার দিয়ে শুরু। সেই সময়ে এই বছর লেপিডাস ও টরাস-এর কন্সালশীপের বছর বলে পরিচিত ছিল (বা, কম প্রচলিত, আব উরবে ক্যন্দিতার ৭৬৪ বছর; রোম প্রতিষ্ঠার বছর)। এই বছরকে ১১ বলে আখ্যায়িত করা হয় শুরুর দিকের মধ্যযুগীয় কাল থেকে, যখন ইউরোপে কমন এরা এবং অ্যানো ডোমিনি বছরের নামকরনের জন্য প্রচলিত পদ্ধতি হয়ে উঠে। এছাড়াও বছর XI (এগারো) ফরাসি বিপ্লবী ক্যালেন্ডারের একটি বছর। বিষয়শ্রেণী:১১ als:10er#11
১১
২১ (XXI) জুলীয় বর্ষপঞ্জীর একটি সাধারণ বছর যেটি বুধবার দিয়ে শুরু। সেই সময়ে এই বছর অগাস্টাস ও সিজার-এর কন্সালশীপের বছর বলে পরিচিত ছিল (বা, কম প্রচলিত, আব উরবে ক্যন্দিতার ৭৭৪ বছর; রোম প্রতিষ্ঠার বছর)। এই বছরকে ২১ বলে আখ্যায়িত করা হয় শুরুর দিকের মধ্যযুগীয় কাল থেকে, যখন ইউরোপে কমন এরা এবং অ্যানো ডোমিনি বছরের নামকরনের জন্য প্রচলিত পদ্ধতি হয়ে উঠে। বিষয়শ্রেণী:২১ als:20er#21
২১
৩১ (XXXI) জুলীয় বর্ষপঞ্জীর একটি সাধারণ বছর যেটি সোমবার দিয়ে শুরু। সেই সময়ে এই বছর আউগুস্তুস ও সেইয়ানাস-এর কন্সালশীপের বছর বলে পরিচিত ছিল (বা, কম প্রচলিত, আব উরবে ক্যন্দিতার ৭৮৪ বছর; রোম প্রতিষ্ঠার বছর)। এই বছরকে ৩১ বলে আখ্যায়িত করা হয় শুরুর দিকের মধ্যযুগীয় কাল থেকে, যখন ইউরোপে কমন এরা এবং অ্যানো ডোমিনি বছরের নামকরনের জন্য প্রচলিত পদ্ধতি হয়ে উঠে। ঘটনাবলী স্থান অনুসারে রোমান সাম্রাজ্য লুসিয়াস এলিয়াস সেজানুসকে সম্রাট টাইবেরিয়াসের সহকারী কনসাল করা হয়। যদিও টাইবেরিয়াস, সেজানুসের বিশ্বাসঘাতকতা সর্ম্পকে জানার পর তাকে গ্রেপ্তার করান এবং মৃত্যুদন্ড দেন । এপ্রিল ৬, (গুড ফ্রাইডে) – যীশুর ক্রুশকাঠে মৃত্যু (একজনের তারিখ নির্ঘণ্ট অনুযায়ী) নাভিয়াস সুতোরিয়াস ম্যাক্রো, সেজানুসের মৃত্যুর পর রোমান সম্রাটের ম্যাজিসট্রেটের সমপদমর্যাদাসম্পন্ন রাজকীয় অভিজাত দেহরক্ষী বাহিনীর প্রধান হন । টাইবেরিয়াস ক্র্যাপ্রি (ইটালির দ্বীপ) থেকে রোমে ফিরে আসেন । জন্ম জেনাইয়াস আরিয়াস এ্যান্টসনাইয়াস রোমান কনসাল হন। মুসোনিয়াস রুফাস,(বিলম্বিত জন্ম সন), গ্রীক দর্শন শাস্ত্রের রোমান দার্শনিক । (মৃত্যু ১০১) মৃত্যু অক্টোবর, ১৮ - লুসিয়াস এলিয়াস সেজানুস রোমান রাজনীতিবিদ দন্ডিত । (জন্ম ২০ ) মার্কাস ভেলিয়াস পেটারকুলাস রোমান ইতিহাসবেত্তা (সম্ভবত সেজানুসের যোগদানকারী হবার কারণে দন্ডিত হন) (জন্ম ১৯ খ্রিষ্টাব্দ) লিভিলা সম্রাট টাইবেরিয়াসের ভাইঝি এবং পুত্রবধু লিভিলা, প্রেমিক সেজানুসের সম্রাট টাইবেরিয়াসকে পতন ঘটনোর পরিকল্পনায় সংশ্লিষ্ট থাকার কারণে অনাহারে মৃত্যুবরণ করেন । (জন্ম ১৩ খ্রিষ্টাব্দ) তথ্য সূত্র বিষয়শ্রেণী:৩১
৩১
৪১ (XLI) জুলীয় বর্ষপঞ্জীর একটি সাধারণ বছর যেটি রবিবার দিয়ে শুরু। সেই সময়ে এই বছর আউগুস্তুস ও স্যাটার্নিনাস-এর কন্সালশীপের বছর বলে পরিচিত ছিল (বা, কম প্রচলিত, আব উরবে ক্যন্দিতার ৭৯৪ বছর; রোম প্রতিষ্ঠার বছর)। এই বছরকে ৪১ বলে আখ্যায়িত করা হয় শুরুর দিকের মধ্যযুগীয় কাল থেকে, যখন ইউরোপে কমন এরা এবং অ্যানো ডোমিনি বছরের নামকরনের জন্য প্রচলিত পদ্ধতি হয়ে উঠে। ঘটনাবলী এলাকা অনুসারে বিষয় অনুসারে জন্ম মৃত্যু বিষয়শ্রেণী:৪১ als:40er#41
৪১
__NOTOC__ ৫১ (LI) জুলিয়ান বর্ষপঞ্জীর একটি সাধারণ বছর যেটি শুক্রবার দিয়ে শুরু। সেই সময়ে এই বছর সীজার ও স্কিপীও-এর কন্সালশীপের বছর বলে পরিচিত ছিল (বা, কম প্রচলিত, আব উরবে ক্যন্দিতার ৮০৪ বছর; রোম প্রতিষ্ঠার বছর)। এই বছরকে ৫১ বলে আখ্যায়িত করা হয় শুরুর দিকের মধ্যযুগীয় কাল থেকে, যখন ইউরোপে কমন এরা এবং অ্যানো ডোমিনি বছরের নামকরনের জন্য প্রচলিত পদ্ধতি হয়ে উঠে। ঘটনাবলী এলাকা অনুসারে বিষয় অনুসারে জন্ম মৃত্যু তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:৫১ als:50er#51
৫১
__NOTOC__ ৬১ (LXI) জুলিয়ান বর্ষপঞ্জীর একটি সাধারণ বছর যেটি বৃহস্পতিবার দিয়ে শুরু। সেই সময়ে এই বছর তুরপিলিয়ানাস ও এসেন্নিয়াস-এর কন্সালশীপের বছর বলে পরিচিত ছিল (বা, কম প্রচলিত, আব উরবে ক্যন্দিতার ৮১৪ বছর; রোম প্রতিষ্ঠার বছর)। এই বছরকে ৬১ বলে আখ্যায়িত করা হয় শুরুর দিকের মধ্যযুগীয় কাল থেকে, যখন ইউরোপে কমন এরা এবং অ্যানো ডোমিনি বছরের নামকরনের জন্য প্রচলিত পদ্ধতি হয়ে উঠে। ঘটনাবলী এলাকা অনুসারে বিষয় অনুসারে জন্ম মৃত্যু তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:৬১ als:60er#61
৬১
৭১ (LXXI) জুলীয় বর্ষপঞ্জীর একটি অধিবর্ষ যেটি শুক্রবার দিয়ে শুরু। সেই সময়ে এই বছর অগাস্টাস-এর কন্সালশীপের বছর বলে পরিচিত ছিল (বা, কম প্রচলিত, আব উরবে ক্যন্দিতার ৮২৪ বছর; রোম প্রতিষ্ঠার বছর)। এই বছরকে ৭১ বলে আখ্যায়িত করা হয় শুরুর দিকের মধ্যযুগীয় কাল থেকে, যখন ইউরোপে কমন এরা এবং অ্যানো ডোমিনি বছরের নামকরনের জন্য প্রচলিত পদ্ধতি হয়ে উঠে। ঘটনাবলী এলাকা অনুসারে বিষয় অনুসারে জন্ম মৃত্যু বিষয়শ্রেণী:৭১ als:70er#Johr 71
৭১
__NOTOC__ ৮১ (LXXXI) জুলিয়ান বর্ষপঞ্জীর একটি সাধারণ বছর যেটি সোমবার দিয়ে শুরু। সেই সময়ে এই বছর সিলভা ও পল্লিও-এর কন্সালশীপের বছর বলে পরিচিত ছিল (বা, কম প্রচলিত, আব উরবে ক্যন্দিতার ৮৩৪ বছর; রোম প্রতিষ্ঠার বছর)। এই বছরকে ৮১ বলে আখ্যায়িত করা হয় শুরুর দিকের মধ্যযুগীয় কাল থেকে, যখন ইউরোপে কমন এরা এবং অ্যানো ডোমিনি বছরের নামকরণের জন্য প্রচলিত পদ্ধতি হয়ে উঠে। ঘটনাবলী এলাকা অনুসারে বিষয় অনুসারে জন্ম মৃত্যু রোম সম্রাট টাইটাসের মৃত্যু হয়। তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:৮১
৮১
__NOTOC__ ৯১ (XCI) জুলিয়ান বর্ষপঞ্জীর একটি সাধারণ বছর যেটি শনিবার দিয়ে শুরু। সেই সময়ে এই বছর গ্লাব্রিও ও ত্রাইনাস-এর কন্সালশীপের বছর বলে পরিচিত ছিল (বা, কম প্রচলিত, আব উরবে ক্যন্দিতার ৮৪৪ বছর; রোম প্রতিষ্ঠার বছর)। এই বছরকে ৯০ বলে আখ্যায়িত করা হয় শুরুর দিকের মধ্যযুগীয় কাল থেকে, যখন ইউরোপে কমন এরা এবং অ্যানো ডোমিনি বছরের নামকরণের জন্য প্রচলিত পদ্ধতি হয়ে উঠে। ঘটনাবলী স্থানানুসারে বিষয়ানুসারে জন্ম মৃত্যু তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:৯১
৯১
গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জীর একটি সাধারণ বছর যা বুধবার দিয়ে শুরু হয়েছে। নামকরণ জন্ম জানুয়ারি ১২ জানুয়ারি - আবদুল গনি হাজারী, বাঙালি কবি ও সাংবাদিক। (মৃ. ১৯৭৬) ৩১ জানুয়ারি - আবু সাঈদ চৌধুরী, বাংলাদেশের ২য় রাষ্ট্রপতি। (মৃ. ১৯৮৭) ফ্রেব্রুয়ারি মার্চ ২৫ মার্চ - সিমন সিনিয়রে, ফরাসি অভিনেত্রী। (মৃ. ১৯৮৫) এপ্রিল ১৬ এপ্রিল - পিটার উস্টিনফ, ইংরেজ অভিনেতা ও পরিচালক। (মৃ. ২০০৪) মে ২ মে - সত্যজিৎ রায়, ভারতীয় বাঙালি চলচ্চিত্র নির্মাতা। (মৃ. ১৯৯২) ২১ মে - আন্দ্রে শাখারভ, সোভিয়েত পদার্থবিজ্ঞানী ও সমাজকর্মী। (মৃ. ১৯৮৭) জুন জুলাই আগস্ট সেপ্টেম্বর অক্টোবর ১ অক্টোবর - জেমস হোয়াইটমোর, মার্কিন চলচ্চিত্র, মঞ্চ ও টেলিভিশন অভিনেতা। (মৃ. ২০০৯) ১১ অক্টোবর - নীলিমা ইব্রাহিম, বাঙালি শিক্ষাবিদ। (মৃ. ২০০২) নভেম্বর ডিসেম্বর মৃত্যু জানুয়ারি ফ্রেব্রুয়ারি মার্চ এপ্রিল মে জুন জুলাই আগস্ট সেপ্টেম্বর অক্টোবর নভেম্বর ডিসেম্বর ঘটনাবলী জানুয়ারি ফ্রেব্রুয়ারি মার্চ এপ্রিল মে ৭ মে - মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ঢাকা প্রতিষ্ঠিত হয়। জুন জুলাই ১ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয় আগস্ট সেপ্টেম্বর অক্টোবর নভেম্বর ডিসেম্বর অজানা/অমীমাংসিত তারিখের ঘটনাবলী প্যারিসে ফ্রাংকো-পোলীয় চুক্তি সম্পাদন। কোন আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সম্মিলিত প্রচেষ্টার অঙ্গীকার।
১৯২১
পুনর্নির্দেশ পথের পাঁচালী
পথের পাঁচালি (চলচ্চিত্র)
আরএস এস (রিচ সাইট সামারি) মূলত একটি ফাইল ফরম্যট যা একই সাথে আধুনিক ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবের (World Wide Web) এক অতি জনপ্রিয় প্রযুক্তি বলে গণ্য। এটি এক্সএমএল (XML) নামক এক সাধারণ ডাটা ফরম্যাট-এর অধীনস্থ এমন একটি উপাদান যা মূলত ওয়েব সিন্ডিকেশন বা ওয়েব নজরদারীর জন্য ব্যবহৃত হয়। ইতিহাস এটম তুলনায় আরএসএস তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ RSS 0.90 Specification RSS 0.91 Specification RSS 1.0 Specifications RSS 2.0 Specification History of the RSS Fork (মার্ক পিলগ্রিম) Building an RSS feed উদাহরণসহ টিউটোরিয়াল বিষয়শ্রেণী:ওয়েব সিন্ডিকেশন ফরম্যাটের বিষয়শ্রেণী:এক্সএমএল-ভিত্তিক মান বিষয়শ্রেণী:কম্পিউটার ফাইল ফরম্যাট বিষয়শ্রেণী:১৯৯৯-এ পরিচিতি
আরএসএস
পাওলো রসি (, ;; ২৩ সেপ্টেম্বর ১৯৫৬ – ৯ ডিসেম্বর ২০২০) একজন ইতালীয় পেশাদার ফুটবল খেলোয়াড় ছিলেন। ভক্তদের কাছে পাবলিতো এবং তোরেরো ডাকনামে পরিচিত রসি তার খেলোয়াড়ি জীবনের অধিকাংশ সময় ভিচেনৎসা এবং ইয়ুভেন্তুসের হয়ে একজন আক্রমণভাগের খেলোয়াড় হিসেবে খেলেছিলেন। তিনি মূলত একজন কেন্দ্রীয় আক্রমণভাগের খেলোয়াড় হিসেবে খেলেছিলেন। ১৯৬১–৬২ মৌসুমে, ইতালীয় ফুটবল ক্লাব সান্তা লুসিয়ার যুব পর্যায়ের হয়ে খেলার মাধ্যমে মারাদোনা ফুটবল জগতে প্রবেশ করেছিলেন এবং পরবর্তীতে আম্ব্রোসিয়ানা, সান মিচেলে এবং ইয়ুভেন্তুসের যুব দলের হয়ে খেলার মাধ্যমেই তিনি ফুটবল খেলায় বিকশিত হয়েছিলেন। ১৯৭৩–৭৪ মৌসুমে, ইতালীয় ফুটবল ক্লাব ইয়ুভেন্তুসের মূল দলে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার মাধ্যমে তিনি তার জ্যেষ্ঠ পর্যায়ের খেলোয়াড়ি জীবন শুরু করেছিলেন; যদিও তিনি ইয়ুভেন্তুসের হয়ে একটিও লীগ ম্যাচে অংশগ্রহণ করেননি, তবে তিনি সেখানে ২ মৌসুম অতিবাহিত করেছিলেন। অতঃপর তিনি ধারে কোমোয় যোগদান করেছিলেন। কোমোয় মাত্র ১ মৌসুমে ৬টি ম্যাচে অংশগ্রহণ করার পর, তিনি ভিচেনৎসায় যোগদান করেছিলেন; যেখানে জিওভান বাত্তিস্তা ফাব্রির অধীনে তিনি ১৯৭৬–৭৭ সেরিয়ে বি শিরোপা জয়লাভ করেছিলেন। ভিচেনৎসার হয়ে ৩ মৌসুমে সকল প্রতিযোগিতায় ৯৪ ম্যাচে ৬০টি গোল করার পর, তিনি ধারে আরেক ইতালীয় ক্লাব পেরুজায় যোগদান করেছিলেন। পরবর্তীতে, তিনি ইয়ুভেন্তুস (দ্বিতীয়বারের মতো) এবং এসি মিলানের হয়ে খেলেছিলেন। ইয়ুভেন্তুসের হয়ে দ্বিতীয়বার খেলার সময় তিনি ২টি লীগ শিরোপা জয়লাভ করেছিলেন। সর্বশেষ ১৯৮৬–৮৭ মৌসুমে, তিনি এল্লাস ভেরোনায় যোগদান করেছিলেন, যেখানে তিনি ১ মৌসুম অতিবাহিত করে অবসর গ্রহণ করেছেন। ১৯৭৭ সালে, রসি ইতালির হয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অভিষেক করেছিলেন, যেখানে তিনি সর্বমোট ৪৮ ম্যাচে ২০টি গোল করেছিলেন। তিনি ইতালির হয়ে ৩টি ফিফা বিশ্বকাপ (১৯৭৮, ১৯৮২ এবং ১৯৮৬) অংশগ্রহণ করেছিলেন। ব্যক্তিগতভাবে, রসি বেশ কিছু পুরস্কার জয়লাভ করেছিলেন, যার মধ্যে ১৯৮২ সালে বালোঁ দর এবং ১৯৭৮ সালে ফিফা বিশ্বকাপ সিলভার বল জয় অন্যতম। এছাড়াও তিনি ফিফার প্রতিষ্ঠার শতবর্ষ উপলক্ষে প্রকাশিত ফিফা ১০০ তালিকায় স্থান পেয়েছেন। দলগতভাবে, ঘরোয়া ফুটবলে, রসি সর্বমোট ৭টি শিরোপা জয়লাভ করেছেন, যার মধ্যে ১টি ভিচেনৎসার হয়ে এবং ৬টি ইয়ুভেন্তুসের হয়ে জয়লাভ করেছিলেন। অন্যদিকে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায়, সর্বমোট ১টি শিরোপা জয়লাভ করেছেন; যা হচ্ছে এনৎসো বেয়ারৎসতের অধীনে ১৯৮৬ ফিফা বিশ্বকাপের শিরোপা জয়। তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ এফআইজিসি.আইটি-এর পাওলো রসি বিষয়শ্রেণী:১৯৫৬-এ জন্ম বিষয়শ্রেণী:২০২০-এ মৃত্যু বিষয়শ্রেণী:ইতালীয় ফুটবলার বিষয়শ্রেণী:ফুটবল ফরোয়ার্ড বিষয়শ্রেণী:সেরিয়ে আ-এর খেলোয়াড় বিষয়শ্রেণী:সেরিয়ে বি-এর খেলোয়াড় বিষয়শ্রেণী:ইয়ুভেন্তুস ফুটবল ক্লাবের খেলোয়াড় বিষয়শ্রেণী:কমো ১৯০৭-এর খেলোয়াড় বিষয়শ্রেণী:ভিচেনৎসা ভির্তুসের খেলোয়াড় বিষয়শ্রেণী:পেরুজা কালচোর খেলোয়াড় বিষয়শ্রেণী:এসি মিলানের খেলোয়াড় বিষয়শ্রেণী:এল্লাস ভেরোনা ফুটবল ক্লাবের খেলোয়াড় বিষয়শ্রেণী:ইতালির আন্তর্জাতিক ফুটবলার বিষয়শ্রেণী:১৯৭৮ ফিফা বিশ্বকাপের খেলোয়াড় বিষয়শ্রেণী:১৯৮২ ফিফা বিশ্বকাপের খেলোয়াড় বিষয়শ্রেণী:১৯৮৬ ফিফা বিশ্বকাপের খেলোয়াড় বিষয়শ্রেণী:ফিফা বিশ্বকাপ বিজয়ী খেলোয়াড় বিষয়শ্রেণী:বালোঁ দর বিজয়ী বিষয়শ্রেণী:ফিফা ১০০ বিষয়শ্রেণী:ইউরোপীয় বর্ষসেরা ফুটবলার বিষয়শ্রেণী:ফুসফুসের ক্যান্সারে মৃত্যু
পাওলো রসি
প্ল্যাংকের দৈর্ঘ্য হলো প্ল্যাংক একক নামক একক ব্যবস্থায় ব্যবহৃত দৈর্ঘ্যের একক। একে দ্বারা সূচিত করা হয়ে থাকে। প্ল্যাংকের দৈর্ঘ্যকে সহজাত একক বলা হয়ে থাকে, কারণ একে তিনটা মৌলিক ভৌত এককের মাধ্যমে প্রকাশ করা যায়: আলোর দ্রুতি, প্ল্যাংকের ধ্রুবক এবং মহাকর্ষ ধ্রুবক। স্থান-কাল'কে একটা বিস্তীর্ণ চাদর হিসাবে কল্পনা করলে দূর থেকে এটাকে খুবই মসৃণ এবং স্থির মনে হবে। ক্রমান্বয়ে পরিবর্ধিত করলে এর মধ্যে বেশি বেশি বন্ধুরতা পরিলক্ষিত হবে। যদি এই পরিবর্ধন এমন হয় যে, স্থান-কাল চাদরে প্ল্যাংকের দৈর্ঘ্যের সমান ছোট পরিসরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে, তাহলে স্থান-কাল চাদরে আমরা বিপুল বিশৃঙ্খলা দেখতে পাব, সঠিকভাবে বললে এটা আসলে কোয়ান্টাম অস্থিরতা যা হাইজেনবার্গের অনিশ্চয়তা নীতির ফলশ্রুতি। প্ল্যাংকের দৈর্ঘ্য হলো এমন ক্ষুদ্রতম দৈর্ঘ্য যার নিচে সাধারণ আপেক্ষিকতা তত্ত্ব এবং কোয়ান্টাম তত্ত্বের মধ্য দ্বন্দ্ব স্পষ্ট হয়ে ওঠে। অর্থাৎ এর চেয়ে ক্ষুদ্রতর পরিসরে সংঘটিত ঘটনাবলী ব্যাখ্যা করতে হলে মহাকর্ষের একটি পূর্ণাঙ্গ কোয়ান্টায়িত তত্ত্ব দরকার যা আজো উদ্ভাবিত হয়নি। মান গাণিতিকভাবে, প্ল্যাংকের দৈর্ঘ্য হল মিটার যেখানে: হল ডিরাকের ধ্রুবক, প্ল্যাংকের ধ্রুবক কে ২π দিয়ে ভাগ করে এর মান পাওয়া যায় ; G হল মহাকর্ষ ধ্রুবক; c হল শূন্য স্থানে আলোর দ্রুতি বন্ধনীর মধ্যের সংখ্যাদুটি হল এই মানটির শেষ দুই অঙ্কের অনিশ্চয়তা (আদর্শ বিচ্যুতি) ।এসআই এককে, প্ল্যাংকের দৈর্ঘ্য প্রায় ১.৬ × ১০−৩৫ মিটারের সমান। দৃশ্যমান মহাবিশ্বের অনুমিত ব্যাসার্ধ (৭.৪ × ১০২৬ মি বা ৭৮ বিলিয়ন আলোকবর্ষ) হচ্ছে ৪.৬ × ১০৬১ প্ল্যাংকের দৈর্ঘ্য এর সমান। তাৎপর্য স্ট্রিং তত্ত্বে একটি সাধারণ স্ট্রিং এর দৈর্ঘ্য প্ল্যাংকের দৈর্ঘ্যের সমান বিবেচনা করা হয়। সাধারণভাবে এত ক্ষুদ্র পরিসরকে বিবেচনা করার প্রয়োজন না হলেও, কৃষ্ণবিবরের কেন্দ্রে সংঘটিত ঘটনাবলী এবং বৃহৎ বিস্ফোরণের সময় মহাবিশ্বের প্রকৃতি জানতে হলে প্ল্যাংকের দৈর্ঘ্যের পরিসরে হিসাব-নিকাশ করার প্রয়োজন পড়ে। আরো দেখুন প্ল্যাংক একক বহিঃসংযোগ জন বেজ, "পদার্থবিজ্ঞানে দৈর্ঘ্যের মাত্রা: প্ল্যাংকের দৈর্ঘ্য" জন বেজ, "উচ্চতর মাত্রার বীজগণিত এবং প্ল্যাংক-মাত্রায় পদার্থবিজ্ঞান: প্ল্যাংকের দৈর্ঘ্য" বিষয়শ্রেণী:কোয়ান্টাম বলবিজ্ঞান de:Planck-Einheiten#Definitionen
প্ল্যাংকের দৈর্ঘ্য
পুনর্নির্দেশ ৮ নভেম্বর
৮ই নভেম্বর
দীপু নাম্বার টু বাংলাভাষায় লিখিত ও প্রকাশিত একটি কিশোর উপন্যাস যার লেখক বাংলাদেশের প্রখ্যাত লেখক মুহাম্মদ জাফর ইকবাল।, এটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল বাংলাদেশের একমাত্র শিশু-কিশোর সংবাদপত্র কিশোর বাংলায়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানকালে লেখক এই উপন্যাসটি রচনা করেন এবং কিশোর বাংলা'র ১৯৮১'র ঈদ সংখ্যায় প্রকাশের জন্য সম্পাদক রফিকুল হককে ডাকযোগে প্রেরণ করেন। ১৯৮৪ খ্রিষ্টাব্দে এটি প্রথম গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়। পরবর্তী কালে সময় প্রকাশন এই উপন্যাসটি গ্রন্থাকারে প্রকাশ করে। পরবর্তীতে এটি নিয়ে একটি চলচ্চিত্র দীপু নাম্বার টু (চলচ্চিত্র) নির্মিত হয়। ইতিহাস "দীপু নাম্বার টু" রচনা প্রসঙ্গে লেখক জাফর ইকবাল বলেন, "আমি যখন পদার্থ বিজ্ঞানে পিএইচ.ডি. করার জন্যে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছি তখন সেখানে আমি একেবারেই একা, বাংলায় কথা বলার একজন মানুষও নেই পড়াশোনার প্রচণ্ড চাপ, সিয়াটলের মেঘে ঢাকা ধূসর আকাশ, গুঁড়িগুড়ি বৃষ্টি, কনকনে শীত সব মিলিয়ে খুব মন খারাপ করা নিঃসঙ্গ একটা পরিবেশ। একাকীত্ব দূর করার জন্যে আমি তখন কল্পনায় একটা কিশোর তৈরি করে নিয়েছিলাম। তার নাম দিয়েছিলাম দীপু। যখন মন খারাপ হতো সেই কিশোরটি তখন আমাকে সঙ্গ দিতো। বিশ্ববিদ্যালয়ের বৃষ্টিভেজা ক্যাম্পাসের পিঠে ব্যাকপ্যাক নিয়ে হাঁটতে হাঁটতে সেই কাল্পনিক চরিত্রকে তা আপনজনদের প্রায় সত্যিকার মানুষদের মতো দেখতে পেতাম। এক সময় সেই কিশোর আর তার প্রিয় মানুষদের সুখ-দুঃখ আর অ্যাডভেঞ্চারের কাহিনীটা লিখতে বসেছি, গভীর ভালোবাসা নিয়ে লিখে শেষ করেছি। লেখা শেষ হলে নাম দিয়েছি দীপু নাম্বার টু!" গল্পসংক্ষেপ সংসারে দুজন ব্যক্তি - আব্বা ও দীপু। দীপু জানে ওর মা বেঁচে নেই। দীপুর বাবার খুব অদ্ভুত স্বভাব, কোনো জায়গাতেই বাবার তিন-চার মাসের বেশি থাকতে ভালো লাগে না। প্রতি বছর-ই দীপুর বাবা পোস্টিং নিয়ে নতুন নতুন জায়গায় যান; খুব স্বাভাবিক ভাবেই দীপুকেও বাবার সাথে ঘুরতে হয়। প্রতি বছর-ই সে ভর্তি হয় নতুন স্কুলে। এরই ধারাবাহিকতায় সে ক্লাস এইটে ভর্তি হয় নতুন স্কুলে। ভর্তির প্রথম দিনেই দীপুর ভালো লেগে যায় এই নতুন স্কুল। তারিক ছাড়া প্রায় সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব হয়ে যায় তার। ঘটনাপ্রবাহে তারিক হয়ে ওঠে দীপুর ঘনিষ্ঠতম বন্ধু। এক পর্যায়ে দীপু জানতে পারে ওর মায়ের কথা। জানতে পারে, বাবার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে বহুদিন আগে আমেরিকা চলে গিয়েছিলেন। দেশে এসেছেন কয়েক দিনের জন্য। ছেলেকে দেখতে চেয়ে বাবাকে চিঠি লিখেছেন। দীপু একা একাই মায়ের সঙ্গে দেখা করার জন্য ঢাকায় যায়। মাকে পেয়ে দীপুর মধ্যে অদ্ভুত এক অনুভূতি জেগে ওঠে। তারপরও সে আবার ফিরে আসে বাবার কাছে। মা ফিরে যান আমেরিকায়। এদিকে দীপু জানতে পারে তারিকের অপ্রকৃতিস্থ মায়ের কথা। তারিকের স্বপ্ন টাকা আয় করে ওর মায়ের চিকিৎসা করাবে। এরপর শুরু হয় দুঃসাহসিক অভিযান। বুদ্ধি আর সাহস খাটিয়ে দীপু, তারিক আর ওদের বন্ধুরা দেশের প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন মূর্তি পাচারকারী চক্রকে ধরিয়ে দেয়। প্রধান চরিত্রগুলো দীপু আব্বা (দীপুর আব্বা) আম্মা (দীপুর আম্মা) স্কুল শিক্ষক তারিক, দীপুর বন্ধু সাজ্জাদ, দীপুর বন্ধু বাবু, দীপুর বন্ধু টিপু, দীপুর বন্ধু নান্টু, দীপুর বন্ধু মিঠু, দীপুর বন্ধু বিলু, দীপুর বন্ধু রাশেদ, দীপুর বন্ধু জামশেদ চাচা চলচিত্র বইটি অবলম্বনে ১৯৯৬ খ্রিষ্টাব্দে রাষ্ট্রীয় অনুদানে একটি চলচ্চিত্র নির্মিত হয়। চলচিত্রটি পরিচালনা করেন বাংলাদেশের বিখ্যাত চলচ্চিত্রকার মোরশেদুল ইসলাম। ছবির নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন অরুন সাহা। এছাড়াও বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন বুলবুল আহমেদ, ববিতা, আবুল খায়ের, গোলাম মুস্তাফা, শুভাশীষ সহ আরও অনেকে। তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ http://www.goodreads.com/book/show/9255439 http://www.ittefaq.com.bd/index.php?ref=MjBfMDFfMzBfMTNfNF80Ml8xXzE0OTky http://www.kalerkantho.com/index.php?view=details&type=gold&data=Sports&pub_no=1016&cat_id=3&menu_id=81&news_type_id=1&index=8&archiev=yes&arch_date=28-09-2012#.US-aWRyw0nQ https://www.youtube.com/watch?v=Fbuq_qEw-OA বিষয়শ্রেণী:মুহম্মদ জাফর ইকবালের বই বিষয়শ্রেণী:বাংলা উপন্যাস বিষয়শ্রেণী:কিশোর উপন্যাস বিষয়শ্রেণী:বাংলা কিশোর উপন্যাস
দীপু নাম্বার টু (উপন্যাস)
স্টিভেন ভেইনবার্গ (জন্ম মে ৩, ১৯৩৩) হলেন একজন মার্কিন পদার্থবিজ্ঞানী। তিনি ১৯৭৯ সালে (সহকর্মী আব্দুস সালাম এবং শেল্ডন গ্ল্যাশোর সাথে) পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার অর্জন করেন। তাদের অবদান ছিল, তড়িচ্চুম্বকীয় বল ও দুর্বল নিউক্লিয় বল কে একীভূত করা। অধুনা সম্প্রতি তিনি কিছু গবেষণাপত্রে দেখানোর চেষ্টা করেছেন যে, সৃষ্টিতত্ত্বীয় ধ্রুবক এর মান এত ক্ষুদ্র হওয়ার কারণ হলো মানবীয় তত্ত্ব। জন্ম ও শিক্ষাজীবন কর্মজীবন পুরস্কার ও সম্মাননা পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার (১৯৭৯) তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ ArXiv এ প্রকাশনাসমূহ সংক্ষিপ্ত জীবনী (সচিত্র) নিউ ইয়র্ক রিভিউ অফ বুকস এ তাঁর নিবন্ধসমূহ ইলেকট্রো-দুর্বল তত্ত্বে তাঁর অবদানের ব্যাপারে মন্তব্যসমূহ দ্য অ্যাথেইজম টেইপস, প্রোগ্রাম ২ - জনাথান মিলার বিবিসি টিভি সিরিজ দ্য অ্যাথেইজম টেইপস এর জন্য স্টিভেন ভেইনবার্গের সাথে একটি দীর্ঘ সাক্ষাতকারের অনুলিখন বিষয়শ্রেণী:মার্কিন পদার্থবিজ্ঞানী বিষয়শ্রেণী:১৯৩৩-এ জন্ম বিষয়শ্রেণী:নোবেল বিজয়ী পদার্থবিজ্ঞানী বিষয়শ্রেণী:প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী বিষয়শ্রেণী:কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী বিষয়শ্রেণী:ন্যাশনাল মেডেল অফ সাইন্স বিজয়ী বিষয়শ্রেণী:ইলিয়ট ক্রেসন মেডেল বিজয়ী
স্টিভেন ভেইনবার্গ
thumb|right|৫ একক দীর্ঘ এবং ৪ একক প্রশস্ত আয়তক্ষেত্র আয়তক্ষেত্র হচ্ছে এমন চতুর্ভুজ যার বিপরীত বাহুগুলো সমান ও সমান্তরাল এবং অভ্যন্তরের চারটি কোণের প্রত্যেকেই এক সমকোণ। এই সংজ্ঞা থেকে দেখা যায় আয়তের দুই জোড়া সমান্তরাল বাহু আছে, যার অর্থ আয়তক্ষেত্র একটি সামান্তরিক। বর্গক্ষেত্র একটি বিশেষ ধরনের আয়তক্ষেত্র যার চারটি বাহুর দৈর্ঘ্য সমান; এর অর্থ বর্গ একই সাথে আয়তক্ষেত্র ও রম্বস। দুটি বিপরীত সমান্তরাল জোড়া বাহুর মধ্যে যেটি বেশি লম্বা তার দৈর্ঘ্যকে আয়তক্ষেত্রের দৈর্ঘ্য এবং খাটো বাহুকে আয়তক্ষেত্রের প্রস্থ বলা হয়। আয়তক্ষেত্রের ক্ষেত্রফল হচ্ছে দৈর্ঘ্য ও প্রস্থের গুণফল। সংকেতে প্রকাশ করলে । উদাহরণস্বরুপ ৫ একক দৈর্ঘ্য ও ৪ একক প্রস্থের কোন আয়তক্ষেত্রের ক্ষেত্রফল ২০ বর্গ একক: । বৈশিষ্ট্য প্রতিটি কোণ ৯০°। বিপরীত বাহুগুলো দৈর্ঘ্যে পরস্পর সমান। বিপরীত বাহুগুলো সমান্তরাল। কর্ণদ্বয় দৈর্ঘ্যে সমান এবং তারা পরস্পরকে দ্বিখন্ডিত করে। সংশ্লিষ্ট বহুভুজ আয়তক্ষেত্র এক ধরনের বৃত্তস্থ চতুর্ভুজ। আয়তক্ষেত্রের যুগ্ম বহুভুজ হল রম্বস। দৈর্ঘ্য-প্রস্থ সমান হলে আয়ত বর্গে পরিণত হয়। আয়ত বিশেষ ধরনের সামান্তরিক, কারণ এর দু' জোড়া সমান্তরাল বাহু আছে। সামান্তরিক এবং ফলত আয়তক্ষেত্রও বিশেষ ধরনের ট্রাপিজিয়াম, যার অন্ততঃ এক জোড়া বাহু সমান্তরাল হয়। তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ Animated course (Construction, Circumference, Area) Definition and properties of a rectangle With interactive animation Area of a rectangle with interactive animation বিষয়শ্রেণী:বহুভুজ বিষয়শ্রেণী:জ্যামিতি
আয়তক্ষেত্র
ধ্বনিতত্ত্ব () ভাষাবিজ্ঞানের একটি শাখা যেখানে কোন নির্দিষ্ট ভাষার ধ্বনি-ব্যবস্থা আলোচিত হয়। এতে বাক ইন্দ্রিয়ের মাধ্যমে সৃজিত ধ্বনির ভৌত উৎপাদন ও অনুধাবন নিয়ে আলোচনা করা হয়। ধ্বনিতত্ত্বের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল একটি ভাষার স্বলক্ষণযুক্ত (distinctive) পৃথক পৃথক ধ্বনি-এককগুলি বের করা । উদাহরণস্বরূপ, ইংরেজিতে /p/ এবং /b/ দুইটি পৃথক ধ্বনি-একক । "pin" ও "bin" ন্যূনতম জোড়ে এই ঘটনাটি পরিলক্ষিত হয় , যে শব্দজোড়ে কেবল একটি ধ্বনির ক্ষেত্রে পার্থক্য ঘটেছে। ধ্বনি: ভাষার ক্ষুদ্রতম উপাদান হলো ধ্বনি। ফুসফুস থেকে নির্গত বাতাস গলার মধ্য দিয়ে মুখের মাধ্যমে বের হওয়ার পথে গলার ভিতরে থাকা বিভিন্ন অংশে স্পর্শ করে বিভিন্ন রকমের শব্দের সৃষ্টি করে। এই শব্দগুলো হলো আওয়াজ। আওয়াজ যখন ভাষার নিদিষ্ট কোনো চিহ্নকে কল্পনা করতে সাহায্য করে তখন তাকে ধ্বনি বলে। ‘অ’; ‘আ’; ‘ক’; ‘খ’ একেকটা ধ্বনি। আওয়াজকে ধ্বনিতে রূপ দিতে গলার যে সব স্থানে বাতাসের স্পর্শ হয়, সে সব স্থানকে বাকযন্ত্র বলে। ধ্বনি ভাষার মূল উপাদান হলেও, ধ্বনির একক কোনো অর্থ হয় না। ধ্বনির সাথে ধ্বনি একত্র হয়ে সৃষ্টি করে শব্দ আর শব্দ থেকে বাক্য গঠনের মথ্য দিয়ে ভাষার প্রকাশ হয়। ভাষাবিজ্ঞানের ধ্বনিতত্ত্ব বিভাগে ধ্বনির গঠন, বিকৃতি, পুনগঠন ও পরিবর্তনগুলো আলোচিত হয়ে থাকে। এ প্রক্রিয়ায় ভাষার ধ্বনিগুলো সাধারণত উচ্চারণীয় ধ্বনিতত্ত্ব, মূলধ্বনিতত্ত্ব ও শ্রুতিগতধ্বনিতত্ত্বকে প্রধান্য দেয়া হয়। উচ্চারণীয় ধ্বনিতত্ত্ব: উচ্চারণীয় ধ্বনিতত্ত্বে বাকযন্ত্রের সহায়তায় ধ্বনিগঠন ও পরিবর্তনের দিক আলোচনা হরা হয়। মূলধ্বনিতত্ত্ব: মূলধ্বনিতত্ত্বে ব্যবহারিক ধ্বনির বৈশিষ্ট, বিন্যাস বিশ্লেশণ করা হয়। শ্রুতিগতধ্বনিতত্ত্ব: শ্রুতিগতধ্বনিতত্ত্বে ধ্বনিগঠনের সময় গলা ও মুখের বিভিন্ন অংশে (বাকযন্ত্রের) বাতাসের যে বিভিন্ন চাপ সৃষ্টি হয়ে তরঙ্গের সৃষ্টি করে, তারই পর্যালোচনা হয় এই শ্রুতিগতধ্বনিতত্ত্বের মাধ্যমে। বিষয়শ্রেণী:ভাষাবিজ্ঞান
ধ্বনিতত্ত্ব
ভাষাবিজ্ঞান এবং সংজ্ঞানাত্মক বিজ্ঞানে সংজ্ঞানাত্মক ভাষাবিজ্ঞান () বলতে ভাষাবিজ্ঞানের একটি ঘরানাকে বোঝায়, যেখানে মনে করা হয়, মানুষের সামগ্রিক সংজ্ঞান (cognition) প্রক্রিয়ার প্রেক্ষিতেই ভাষার সৃষ্টি, শিখন, ও ব্যবহার সবচেয়ে ভালভাবে ব্যাখ্যা করা সম্ভব। সংজ্ঞানাত্মক ভাষাবিজ্ঞানীরা তিনটি মূল অবস্থান গ্রহণ করেছেন। প্রথমত, ভাষার জন্য মনে বা মস্তিষ্কে যে একটি আলাদা স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা আছে, সেটি তারা অস্বীকার করেন। দ্বিতীয়ত, তারা "ধারণায়ন" (conceptualization)-এর প্রেক্ষিতে ব্যাকরণ বোঝার চেষ্টা করেন। এবং তৃতীয়ত, তারা দাবী করেন যে ভাষার ব্যবহারের মধ্যে দিয়ে মানুষের মধ্যে ভাষা সম্পর্কিত জ্ঞান গড়ে ওঠে। তথ্যসূত্র আরও পড়ুন Evans, Vyvyan; Benjamin Bergen & Joerg Zinken (2007). The Cognitive Linguistics Reader. London: Equinox. Evans, Vyvyan, Benjamin K. Bergen and Jörg Zinken. The Cognitive Linguistics Enterprise: An Overview. In Vyvyan Evans, Benjamin K. Bergen and Jörg Zinken (Eds). The Cognitive Linguistics Reader. Equinox Publishing Co. Geeraerts, D. & H. Cuyckens, eds. (2007). The Oxford Handbook of Cognitive Linguistics. New York: Oxford University Press. Geeraerts, D., ed. (2006). Cognitive Linguistics: Basic Readings. Berlin / New York: Mouton de Gruyter. Kristiansen et al., eds. (2006). Cognitive Linguistics: Current Applications and Future Perspectives. Berlin / New York: Mouton de Gruyter. Rohrer, T. Embodiment and Experientialism in Cognitive Linguistics. In the Handbook of Cognitive Linguistics, Dirk Geeraerts and Herbert Cuyckens, eds., Oxford University Press, forthcoming. Gilles Fauconnier has written a brief, manifesto-like introduction to Cognitive linguistics, which compares it to mainstream, Chomsky-inspired linguistics. See Introduction to Methods and Generalizations. In T. Janssen and G. Redeker (Eds). Scope and Foundations of Cognitive Linguistics. The Hague: Mouton De Gruyter. Cognitive Linguistics Research Series. (on-line version) Grady, Oakley, and Coulson (1999). "Blending and Metaphor". In Metaphor in cognitive linguistics, Steen and Gibbs (eds.). Philadelphia: John Benjamins. (online version) Schmid, H. J. et al. (1996). An Introduction to Cognitive Linguistics. New York, Longman. Fauconnier, G. (1997). Mappings in Thought and Language. Taylor, J. R. (2002). Cognitive Grammar. Oxford, Oxford University Press. Croft, W. & D.A. Cruse (2004) Cognitive Linguistics. Cambridge: Cambridge University Press. Tomasello, M. (2003). Constructing a Language. A Usage-Based Theory of Language Acquisition. Harvard University Press. Fauconnier, Gilles and Mark Turner (2003). The Way We Think. New York: Basic Books. বিষয়শ্রেণী:ভাষাবিজ্ঞান বিষয়শ্রেণী:সংজ্ঞানাত্মক বিজ্ঞান
সংজ্ঞানাত্মক ভাষাবিজ্ঞান
ইন্ডিয়ান ওয়েল্‌স মাস্টার্স () মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের ছোট শহর ইন্ডিয়ান ওয়েলসে অনুষ্ঠিত একটি বার্ষিক টেনিস টুর্নামেন্ট। ইভেন্টটির স্পন্সরের দেয়া বর্তমান নাম বিএনপি পারিবাস ওপেন। টুর্নামেন্টটি এটিপি পেশাদারী পুরুষ টেনিস টুরের একটি মাস্টার্স মর্যাদাসম্পন্ন টুর্নামেন্ট এবং ডব্লিউটিএ প্রমীলা টেনিস টুরের টিয়ার ১ বা প্রথম স্তরের একটি টুর্নামেন্ট। এটি মার্চ মাসের শুরুতে মায়ামি মাস্টার্সের আগে অনুষ্ঠিত হয় এবং এর মূল ড্র ৮ দিনেরও বেশি সময় ধরে খেলা হয়। মহিলাদের ড্র সাধারণত বুধবারে শুরু হয় এবং পরের সপ্তাহের শনিবারে শেষ হয়। পুরুষদের ড্র শুক্রবারে শুরু হয়ে পরবর্তী সপ্তাহের রবিবারে শেষ হয়। মহিলা ও পুরুষ উভয় ক্ষেত্রেই একক খেলার ড্র-তে ৯৬ জন খেলোয়াড় অংশ নেন। ৩২ জন বাছাই খেলোয়াড় সরাসরি ২য় রাউণ্ডে প্রবেশ করেন। টুর্নামেন্টটি হার্ড কোর্টে খেলা হয় এবং চারটি টেনিস গ্র্যান্ড স্ল্যাম টুর্নামেন্টের পরে এটিতেই সবচেয়ে বেশি জনসমাগম ঘটে। গরে প্রায় আড়াই লাখ দর্শক এখানে খেলা দেখতে আসেন। তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:টেনিস টুর্নামেন্ট
ইন্ডিয়ান ওয়েল্‌স মাস্টার্স
মাই বেস্ট ফ্রেন্ড্‌স বার্থডে (১৯৮৭) কোয়েন্টিন টারান্টিনো ও ক্রেইগ হ্যামান-এর অসমাপ্ত সাদাকালো চলচ্চিত্র। কুশীলব কোয়েন্টিন টারান্টিনো ক্রেইগ হ্যামান ক্রিস্টাল শ অ্যালেন গারফিল্ড অ্যাল হ্যারেল ব্রেন্ডা হিলহাউজ লিন্ডা কায়ে স্টেভো পলিই অ্যালান স্যানবর্ন রিক টার্নার রোল্যান্ড ওয়াফোর্ড তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ বিষয়শ্রেণী:১৯৮৭-এর চলচ্চিত্র বিষয়শ্রেণী:১৯৮০-এর দশকের কমেডি চলচ্চিত্র বিষয়শ্রেণী:ইংরেজি ভাষার চলচ্চিত্র বিষয়শ্রেণী:কোয়েন্টিন টারান্টিনো পরিচালিত চলচ্চিত্র বিষয়শ্রেণী:কোয়েন্টিন টারান্টিনোর চিত্রনাট্য বিষয়শ্রেণী:মার্কিন চলচ্চিত্র বিষয়শ্রেণী:মার্কিন সাদাকালো চলচ্চিত্র বিষয়শ্রেণী:মার্কিন স্বাধীন চলচ্চিত্র বিষয়শ্রেণী:মার্কিন স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র বিষয়শ্রেণী:হাস্যরসাত্মক স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র
মাই বেস্ট ফ্রেন্ড্‌স বার্থডে
thumb|right|180px|Zulfikar Ali Bhutto (executed), founder chairman and prime minister. পাকিস্তান পিপলস্ পার্টি পাকিস্তানের প্রধানসারির রাজনৈতিক দল। আরো দেখুন জমিয়ত উলামায়ে ইসলাম (ফ) তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:পাকিস্তানের রাজনৈতিক দল
পাকিস্তান পিপলস্‌ পার্টি
thumb|350px|প্রথম ক্রুসেডের সময় জেরুজালেমে হামলার দৃশ্য চিত্রকলায় যেভাবে ফুটে উঠেছে প্রথম ক্রুসেড শুরু হয় ১০৯৫ সালে। পোপ আরবান ২ দ্বৈত উদ্দেশ্যে এই ক্রুসেড শুরু করেন, ঐশ্বরিক শহর জেরুজালেমকে মুসলমানদের কাছে থেকে দখল করা এবং এ পবিত্র ভূমিতে খ্রিস্টান শাসন প্রতিষ্ঠা করা। ইউরোপের বিভিন্ন অঞ্চল হতে মোট চারটি দল ক্রুসেডার্সদের পক্ষ থেকে গঠন করা হয়, এই দল গুলোর নেতৃত্বে ছিলেন রেয়মন্ড, গডফ্রে, হুগ, এবং বহেমন্ড। বাইজেন্টাইনদের উদ্দেশ্যে এই দল গুলো যাত্রা শুরু করে ১০৯৬ সালে। এছাড়াও ক্রুসেডার্সদের আরো একটি দল গঠিত হয়ে ছিলো পিটারের নেতৃত্বে যাতে ছিলো নাইট এবং জনসাধারন এই দলের নামকরন করা হয়েছিল "পিপল'স ক্রুসেড" মুসলিম এবং ক্রুসেডস দের প্রথম মুখ্য সংঘর্ষে তুর্কিশ বাহিনি ক্রুসেডস দের একটি বাহিনি (পিপল'স ক্রুসেড) কে পরাজিত করে ১০৯৭ সালের "মে" মাসে ক্রুসেডারস এবং বাইজেন্টাইন বাহিনি সমুহ একত্রে "নাইসিয়া" (বর্তমানে ইজনিক,তুর্কি) এবং "সেলজুক" আক্রমন করে জুন মাসের শেষের দিকে বাইজেন্টাইন এবং ক্রুসেডাররা উক্ত শহরগুলোর উপর বিজয় লাভ করে এবং পরবর্তিতে ১০৯৯ সালের জুলাই মাসের মধ্যভাগে জেরুজালেমের গভর্নর চাপের মুখে অত্মসমর্পন করেন এবং এভাবেই প্রথম ক্রুসেডে মুসলিমদের উপর বিজয় লাভ করে thumb|450px|মানচিত্রে প্রথম ক্রুসেড আরও পড়ুন দ্বিতীয় ক্রুসেড তৃতীয় ক্রুসেড চতুর্থ ক্রুসেড পঞ্চম ক্রুসেড ষষ্ঠ ক্রুসেড সপ্তম ক্রুসেড অষ্টম ক্রুসেড নবম ক্রুসেড তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:ক্রুসেড বিষয়শ্রেণী:ইসলামের ইতিহাস বিষয়শ্রেণী:সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষ বিষয়শ্রেণী:আর্মেনিয়ার যুদ্ধ
প্রথম ক্রুসেড
সপ্তম ক্রুসেড হলো ফ্রান্সের সম্রাট ৯ম লুই এর পরিচালিত একটি ক্রুসেড বা ধর্ম যুদ্ধ, যা ১২৪৮ হতে ১২৫৪ পর্যন্ত সংঘটিত হয়। যুদ্ধে রাজা ৯ম লুই পরাজিত ও বন্দী হন। আইয়ুবীয় রাজবংশের শাসক আল মোয়াজ্জেম তুরানশাহ এর নেতৃত্বে মিশরীয় বাহিনী রাজা নবম লুইকে বন্দী করে। যুদ্ধ শেষে লুইয়ের মুক্তির জন্য ৫০,০০০ স্বর্ণমূদ্রা (ফ্রান্সের তখনকার বাৎসরিক আয়ের সমান অর্থ) মুক্তিপণ হিসাবে দেয়া হয়। এই ক্রুসেডে মিশরীয় বাহিনীকে বাহরী, মামলুক, বাইবার, কুতুজ, আইবাক, ও কুলওয়ান গোষ্ঠী সহায়তা করে। . তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:ক্রুসেড বিষয়শ্রেণী:ইসলামের ইতিহাস বিষয়শ্রেণী:সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষ
সপ্তম ক্রুসেড
উইন্ডোজ ২.০ (Windows 2.0) মাইক্রোসফট উইন্ডোজ গ্রাফিকাল ইউজার ইন্টারফেস-ভহিত্তিক অপারেটিং পরিবেশের একটি সংস্করণ। এটি উইন্ডোজ ১.০-এর পরবর্তী সংস্করণ। নতুন ফিচার উইন্ডোজ ২.০-তে অ্যাপলিকেশন উইন্ডোগুলিকে একটির উপর আরেকটি রাখার ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করা হয়। উইন্ডোজ ২.০-তে নতুন উন্নততর কিবোর্ড শর্টকাটের ব্যবস্থা ছিল এবং এটিতেই "ম্যাক্সিমাইজ" ও "মিনিমাইজ" পরিভাষাগুলি প্রথম ব্যবহার করা হয়। এর আগে এগুলি উইন্ডোজ ১.০-তে যথাক্রমে "আইকনাইজ" ও "জুম" নামে পরিচিত ছিল। বিষয়শ্রেণী:মাইক্রোসফ্‌ট উইন্ডোজ
উইন্ডোজ ২.০
কেটু () হচ্ছে মাউন্ট এভারেস্টের পর বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পর্বত শৃঙ্গ। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এর উচ্চতা । হিমালয় পর্বতমালার কারাকোরাম পর্বত রেঞ্জের অন্তর্গত এই পর্বতশৃঙ্গটি পাকিস্তানের গিলগিত-বালতিস্তান ও চীনের জিংজিয়ানের তাক্সকোরগান সীমান্তে অবস্থিত। এই পর্বতশৃঙ্গে আরোহণ করা অত্যন্ত দুর্গম হওয়ায় এটি জংলী পর্বত নামেও পরিচিত। অন্নপূর্ণা পর্বতশৃঙ্গের পর আট-হাজারী পর্বতশৃঙ্গগুলোতে আরোহণ প্রচেষ্টায় মৃত্যুর হারের দিক থেকে কেটু-এর অবস্থান দ্বিতীয়। এর চূড়ায় আরোহণকারী প্রতি চার জনের মধ্যে একজন মৃত্যুবরণ করেছে। শুরুর দিককার অভিযানসমূহ এই পর্বতশৃঙ্গে আরোহণের প্রথম প্রচেষ্টা করেন একটি অ্যাংলো-সুইস অভিযাত্রী দল ১৯০২ সালে এবং তারা শৃঙ্গের উত্তর-পূর্ব ধার বরাবর ১৮,৬০০ ফিট (৫,৬৭০ মিটার) উচ্চতা পর্যন্ত আরোহণে সমর্থ হন।অন্যান্য অসফল প্রচেষ্টাগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ১৯০৯ সালে লুইগি আমেদিও, ডিউক অফ্ আবুরাজ্জির নেতৃত্বে শৃঙ্গের দক্ষিণ-পূর্ব ধার বরাবর (যেটি পরে আবুরাজ্জি রিজ্ নামে পরিচিত হয়) একটি ইতালিয় অভিযানএবং তারা প্রায় ২০,০০০ ফিট (৬,১০০ মিটার) উচ্চতা পর্যন্ত আরোহণে সমর্থ হন। এরপর ১৯৩৮ সালে একটি আমেরিকান অভিযাত্রী দল চার্লস হাউস্টনের নেতৃত্বে আবুরাজ্জি রিজ্ ধরে প্রায় ২৬,০০০ ফিট (৭,৯২৫ মিটার) উচ্চতা পর্যন্ত আরোহণে সমর্থ হন। শেষপর্যন্ত, ১৯৫৪ সালে একটি ইতালিয় অভিযাত্রী দল ভূতাত্ত্বিক আরদিতো দেসিওর নেতৃত্বে আবুরাজ্জি রিজ্ বরাবার কে২ জয় করেন। আকিলে কম্পাগননি এবং লিনো লাসেদেলি ১৯৫৪ সালের ৩১ শে জুলাই স্থানীয় সময় অনুসারে বিকেল ৬ টার সময় সর্বোচ্চ বিন্দুতে পৌঁছান। এখন শীতকালে কে২-এর চূড়ায় আরোহণ করা সম্ভব হয়নি। তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:আট-হাজারী বিষয়শ্রেণী:হিমালয়ের পর্বতশৃঙ্গ বিষয়শ্রেণী:পাকিস্তানের পর্বত
কে২
300px|right|গাশারব্রুম গাশারব্রুম ২ (কে৪ হিসেবে ও পরিচিত) পাকিস্তানে ৫ম এবং পৃথিবীতে ১৩তম উচ্চতম পর্বত। গাশারব্রুম ২ হিমালয়ের কারাকোরাম সীমাতে গাশারব্রুম স্তুপ-পর্বতে অবস্থিত তৃতীয় উচ্চতম চূড়া। এর সর্বোচ্চ উচ্চতা ৮০৩৫ মিটার (২৬,৩৬০ ফুট)। জুলাই ৮,১৯৫৬ সালে সর্বপ্রথম একদল অস্ট্রেলীয় অভিযাত্রী এর শীর্ষে আরোহণ করেন। বিষয়শ্রেণী:আট-হাজারী বিষয়শ্রেণী:হিমালয়ের পর্বতশৃঙ্গ
গাশারব্রুম ২
পুনর্নির্দেশ কালপুরুষ (তারামণ্ডল)
কালপুরুষ
ডেঙ্গু জ্বর (সমার্থক ভিন্ন বানান ডেঙ্গি) একটি এডিস মশা বাহিত ডেঙ্গু ভাইরাস জনিত গ্রীষ্মমণ্ডলীয় রোগ। এডিস মশার কামড়ের মাধ্যমে ভাইরাস সংক্রমণের তিন থেকে পনেরো দিনের মধ্যে সচরাচর ডেঙ্গু জ্বরের উপসর্গগুলো দেখা দেয়। উপসর্গগুলির মাঝে রয়েছে জ্বর, মাথাব্যথা, বমি, পেশিতে ও গাঁটে ব্যথা এবং গাত্রচর্মে ফুসকুড়ি। দুই থেকে সাত দিনের মাঝে সাধারণত ডেঙ্গু রোগী আরোগ্য লাভ করে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে রোগটি মারাত্মক রক্তক্ষরী রূপ নিতে পারে যাকে ডেঙ্গু রক্তক্ষরী জ্বর (ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভার) বলা হয়। এর ফলে রক্তপাত হয়, রক্ত অনুচক্রিকার মাত্রা কমে যায় এবং রক্ত প্লাজমার নিঃসরণ ঘটে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে কখনোবা ডেঙ্গু শক সিনড্রোম দেখা দেয়। ডেঙ্গু শক সিনড্রোমে রক্তচাপ বিপজ্জনকভাবে কমে যায়। কয়েক প্রজাতির এডিস মশকী (স্ত্রী মশা) ডেঙ্গু ভাইরাসের প্রধান বাহক। যেগুলোর মধ্যে এডিস ইজিপ্টি মশকী প্রধানতম। ভাইরাসটির পাঁচটি সেরোটাইপ পাওয়া যায়। ভাইরাসটির একটি সেরোটাইপ সংক্রমণ করলে সেই সেরোটাইপের বিরুদ্ধে রোগী আজীবন প্রতিরোধী ক্ষমতা অর্জন করে, কিন্তু ভিন্ন সেরোটাইপের বিরুদ্ধে সাময়িক প্রতিরোধী ক্ষমতা অর্জন করে। পরবর্তীতে ভিন্ন সেরোটাইপের ডেঙ্গু ভাইরাস সংক্রমিত হলে রোগীর মারাত্মক জটিলতা দেখা দিতে পারে। কয়েক ধরনের টেস্টের মাধ্যমে, যেমন, ভাইরাসটি বা এর আরএনএ প্রতিরোধী এন্টিবডির উপস্থিতি দেখেও ডেঙ্গু জ্বর নির্ণয় করা যায়। ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধী টিকা কয়েকটি দেশে অনুমোদিত হয়েছে তবে এই টিকা শুধু একবার সংক্রমিত হয়েছে এমন ব্যক্তির ক্ষেত্রে কার্যকর। মূলত এডিস মশার কামড় এড়িয়ে চলাই ডেঙ্গু প্রতিরোধের প্রধান উপায়। তাই মশার আবাসস্থল ধ্বংস করে মশার বংশবিস্তার প্রতিরোধ করতে হবে। এ জন্য এডিস মশার বংশবিস্তারের উপযোগী বিভিন্ন আধারে, যেমন, কাপ, টব, টায়ার, ডাবের খোলস, গর্ত, ছাদ ইত্যাদিতে আটকে থাকা পানি অপসারণ করতে হবে। শরীরের বেশির ভাগ অংশ ঢেকে রাখে এমন পোশাক পরিধান করতে হবে। ডেঙ্গু জ্বর হলে পরিপূর্ণ বিশ্রাম নিতে হবে এবং বেশি করে তরল খাবার গ্রহণ করতে হবে। জ্বর কমাতে প্যারাসিটামল দেওয়া হয়। প্রায়শ রোগীর শিরায় স্যালাইন দিতে হতে পারে। মারাত্মক রূপ ধারণ করলে রোগীকে রক্ত দিতে হতে পারে। ডেঙ্গু জ্বরে হলে কোন ধরনের এন্টিবায়োটিক ও ননস্টেরয়েডাল প্রদাহপ্রশমী ওষুধ সেবন করা যাবে না, করলে রক্তপাতের ঝুঁকি বেড়ে যায়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী কালে ডেঙ্গু একটি বৈশ্বিক আপদে পরিণত হয়েছে। এশিয়া, দক্ষিণ আমেরিকা ও অন্যান্য মহাদেশের ১১০টির অধিক দেশে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব হয়। প্রতি বছর পাঁচ থেকে পঞ্চাশ কোটি মানুষ ডেঙ্গুতে সংক্রমিত হয় এবং তাদের মাঝে দশ থেকে বিশ হাজারের মতো মারা যায়। ১৭৭৯ সালে ডেঙ্গুর প্রথম উল্লেখ পাওয়া যায়। বিংশ শতকের প্রথমভাগে ডেঙ্গুর ভাইরাস উৎস ও সংক্রমণ বিশদভাবে জানা যায়। মশক নিধনই বর্তমানে ডেঙ্গু প্রতিরোধের প্রধান উপায়। সরাসরি ডেঙ্গু ভাইরাসকে লক্ষ্য করে ওষুধ উদ্ভাবনের গবেষণা চলমান রয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বিশটি অবহেলিত গ্রীষ্মমণ্ডলীয় রোগের একটি হিসেবে ডেঙ্গু চিহ্নিত করেছে। চিহ্ন ও উপসর্গ thumb|300px|alt= মানবশরীরের রেখাচিত্রে তিরচিহ্ন দিয়ে দেখানো হয়েছে ডেঙ্গু জ্বরের বিভিন্ন পর্যায়ে শরীরের কোন অংশগুলি আক্রান্ত হয়|মানবশরীরের রেখাচিত্রে তিরচিহ্ন দিয়ে দেখানো হয়েছে ডেঙ্গু জ্বরের বিভিন্ন পর্যায়ে শরীরের কোন অংশগুলি আক্রান্ত হয় সাধারণভাবে, ডেঙ্গু ভাইরাসে আক্রান্তরা হয় উপসর্গবিহীন (৮০%) অথবা সাধারণ জ্বরের মত সামান্য উপসর্গ। বাকিদের রোগ হয় আরো জটিল(৫%), এবং স্বল্প অনুপাতে এটি প্রাণঘাতী হয়। ইনকিউবিশন পিরিয়ড (উপসর্গসমূহের সূত্রপাত থেকে রোগের প্রাথমিক পর্যায়ের মধ্যবর্তী সময়) স্থায়ী হয় ৩-১৪ দিন, কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রে তা হয় ৪-৭ দিন। অতএব, আক্রান্ত এলাকা-ফেরত পর্যটকদের ডেঙ্গু হয় না যদি ঘরে ফেরার ১৪ দিনের বেশি পরে জ্বর ও অন্যান্য উপসর্গ শুরু হয়। বাচ্চাদের প্রায়ই এই উপসর্গগুলি হয় যা সাধারণ সর্দি এবং গ্যাস্ট্রোএন্টারাটাইটিস (বমি ও ডায়েরিয়া)র সমান, আর সাধারণতঃ বড়দের চেয়ে উপসর্গের তীব্রতা কম হয়, কিন্তু রোগের জটিলতার শিকার বেশি পরিমাণে হয়। ক্লিনিক্যাল কোর্স ডেঙ্গু উপসর্গের বৈশিষ্ট্য হ’ল হঠাত জ্বর হওয়া, মাথাব্যথা(সাধারণতঃ দু’চোখের মাঝে), মাংশপেশি ও হাড়ের সংযোগস্থলে ব্যথা, এবং র‍্যাশ বেরোনো। ডেঙ্গুর আরেক নাম “হাড়-ভাঙা জ্বর” যা এই মাংশপেশি ও হাড়ের সংযোগস্থলে ব্যথা থেকে এসেছে। মেরুদন্ড ও কোমরে ব্যাথা হওয়া এ রোগের বিশেষ লক্ষণ। সংক্রমণের কোর্স তিনটি পর্যায়ে বিভক্ত: প্রাথমিক, প্রবল এবং আরোগ্য। প্রাথমিক পর্যায়ে থাকে অত্যধিক জ্বর, প্রায়শ -র বেশি, সঙ্গে থাকে সাধারণ ব্যথা ও মাথাব্যথা; এটি সাধারণতঃ দুই থেকে সাতদিন স্থায়ী হয়। এই পর্যায়ে ৫০-৮০% উপসর্গে র‍্যাশ বেরোয়। এটা উপসর্গের প্রথম বা দ্বিতীয় দিনে লাল ফুসকুড়ি হিসাবে দেখা দেয়, অথবা পরে অসুখের মধ্যে (দিন ৪-৭) হামের মত র‍্যাশ দেখা দেয়। কিছু petechia (ছোট লাল বিন্দু যেগুলি ত্বকে চাপ দিলে অদৃশ্য হয় না, যেগুলির আবির্ভাব হয় ত্বকে চাপ দিলে এবং এর কারণ হচ্ছে ভগ্ন রক্তবাহী নালী) এই জায়গায় আবির্ভূত হতে পারে, এবং কারুর মুখ ও নাকের মিউকাস মেমব্রেন থেকে অল্প রক্তপাতও হতে পারে। কিছু লোকের ক্ষেত্রে অসুখটি চরম পর্যায়ে পৌঁছে যায়, যার কারণে প্রবল জ্বর হয় এবং সাধারণতঃ এক থেকে দুই দিন স্থায়ী হয়। এই পর্যায়ে প্রচুর পরিমাণে তরল বুক এবং অ্যাবডোমিনাল ক্যাভিটিতে বর্ধিত ক্যাপিলারি শোষণ ও লিকেজের কারণে জমে। এর ফলে রক্তপ্রবাহে তরলের পরিমাণ কমে যায় এবং গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গপ্রত্যঙ্গে রক্ত সরবরাহ হ্রাস পায়। এই পর্যায়ে অঙ্গপ্রত্যঙ্গের বিকলতা এবং প্রবল রক্তপাত হয়, সাধারণতঃ গ্যাস্ট্রোইন্টেস্টিনাল ট্র্যাক্ট হতে পারে। ডেঙ্গুর সব ঘটনার ৫%-এরও কম ক্ষেত্রে শক (ডেঙ্গু শক সিনড্রোম) এবং হেমারেজ (ডেঙ্গু হেমারেজিক ফিভার)ঘটে, তবে যাদের আগেই ডেঙ্গু ভাইরাসের অন্যান্য স্টিরিওটাইপ-এর সংক্রমণ ঘটেছে(“সেকেন্ডারি ইনফেকশন”) তারা বর্ধিত বিপদের মধ্যে রয়েছেন। এরপর আরোগ্য পর্যায়ে বেরিয়ে যাওয়া তরল রক্তপ্রবাহে ফেরত আসে। এটি সাধারণতঃ দুই থেকে তিনদিন স্থায়ী হয়। এই উন্নতি হয় চমকে দেবার মত, কিন্তু এতে প্রচন্ড চুলকানি এবং হৃদস্পন্দনের গতি ধীরহতে পারে। আরেকরকম র‍্যাশও বেরোতে পারে ম্যাকুলোপাপুলার বা ভাস্কুলাইটিক রূপে, যার ফলে ত্বকে গুটি বেরোয়। এই পর্যায়ে তরলের অতিপ্রবাহ অবস্থা ঘটতে পারে। যদি এতে মস্তিষ্ক আক্রান্ত হয় তাহলে সচেতনতার মাত্রা হ্রাস অথবা মুর্ছা যাওয়া হতে পারে। এর পর এক ক্লান্তির অনুভূতি অনেক সপ্তাহ পর্যন্ত থাকতে পারে। সম্পর্কিত সমস্যা মাঝে মাঝে ডেঙ্গু অন্যান্য অনেক শরীরতন্ত্রকে আক্রমণ করতে পারে, আলাদা ভাবে অথবা চিরাচরিত ডেঙ্গু লক্ষণের সাথে। ০.৫%-৬% চরম ক্ষেত্রে সচেতনতার মাত্রা হ্রাস পায় যার কারণ মস্তিষ্কে ভাইরাসের সংক্রমণ অথবা পরোক্ষভাবে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গপ্রত্যঙ্গের অবনতি,উদাহরণস্বরূপ, লিভার। ডেঙ্গুর সাপেক্ষে অন্যান্য নিউরোলজিক্যাল ডিসঅর্ডারের বিষয়ে জানা গেছে, যেমন ট্রান্সভার্স মায়েলিটিস এবং গুলেন-বারে সিনড্রোম. দুর্লভতর জটিলতার মধ্যে আছে হৃৎপিণ্ডে সংক্রমণ এবং অ্যাকিউট লিভার ফেলিওর। কারণ ভাইরোলজি thumb|alt=ট্রান্সমিশন ইলেক্ট্রন মাইক্রোস্কোপির ছবিতে ডেঙ্গু ভাইরাস|TEM মাইক্রোগ্রাফে দেখা যাচ্ছে ডেঙ্গু ভাইরাস ভিরিওন (কেন্দ্রের কাছে কালো বিন্দুর সমষ্টি) ডেঙ্গু ফিভার ভাইরাস (DENV) Flavivirus জিনের Flaviviridaeপরিবারের একটি আরএনএ ভাইরাস। একই জিনের অন্য সদস্যদের মধ্যে আছে ইয়েলো ফিভার ভাইরাস, ওয়েস্ট নাইল ভাইরাস, সেন্ট লুইস এনকেফেলাইটিস ভাইরাস, জাপানি এনকেফেলাইটিস ভাইরাস, টিক-বর্ন এনকেফেলাইটিস ভাইরাস,ক্যাজেনুর ফরেস্ট ডিজিজ ভাইরাস, এবং ওমস্ক হেমোরেজিক ফিভার ভাইরাস. বেশির ভাগই আর্থ্রোপড বা পতঙ্গ পরিবাহিত (মশা বা টিক), আর তাই এদের বলা হয় আর্বোভাইরাস (arthropod-borne viruses). ডেঙ্গু ভাইরাসের জিনোম (জিনগত পদার্থ) ধারণ করে প্রায় ১১০০০ নিউক্লিওটাইড বেস, যার কোড-এ আছে তিনটি ভিন্ন প্রকারের প্রোটিন অণু (C, prM এবং E) যা তৈরি করে ভাইরাস অণু এবং সাতটি অন্য প্রকারের প্রোটিন অণু (NS1, NS2a, NS2b, NS3, NS4a, NS4b, NS5) যা শুধুমাত্র আক্রান্ত ধারক কোষেই পাওয়া যায় এবং তা ভাইরাসের প্রতিরূপ বানাতে সাহায্য করে। ভাইরাসের চারটি ভাগ আছে, এগুলিকে বলে সেরোটাইপ এবং এগুলির নাম হল DENV-1, DENV-2, DENV-3 এবং DENV-4. এই চারটি সেরোটাইপ মিলে রোগের পূর্ণ চিত্র তৈরি করে। একটি সেরোটাইপের সংক্রমণকে মনে করা হয় সেই সেরোটাইপের বিরুদ্ধে জীবনভর প্রতিরোধ ক্ষমতা উৎপন্ন হল কিন্তু তা অন্যগুলির ক্ষেত্রে শুধু স্বল্পমেয়াদী প্রতিরোধ দেয়। সেকেন্ডারী ইনফেকশনে প্রবল জটিলতা দেখা দেয় বিশেষ করে যদি কারুর আগে সেরোটাইপ DENV-1 হয় এবং তারপর সেরোটাইপ DENV-2 বা সেরোটাইপ DENV-3তে আক্রান্ত হয় অথবা যদি কেউ আগে DENV-3তে আক্রান্ত হয়ে পরে DENV-2তে আক্রান্ত হয়। পরিবহণ alt=”এডিস ইজিপ্টি” মশার মানুষকে কামড়ানোর ক্লোজ-আপ ফটোগ্রাফ|thumb|মশা এডিস মশা ডেঙ্গু ভাইরাস প্রাথমিকভাবে এডিস মশা দ্বারা পরিবাহিত হয়,বিশেষ করে A. aegypti। সাধারণতঃ এই মশার বাস ল্যাটিচিউড ৩৫°  উত্তর ও ৩৫° দক্ষিণ ঢালের নিচে। এরা মূলতঃ দিনের বেলা কামড়ায়। অন্যান্য “এডিস” প্রজাতির মশা যারা রোগ ছড়ায় তাদের মধ্যে আছে A. albopictus, A. polynesiensis এবং A. scutellaris । এই ভাইরাসের প্রাথমিক ধারক মানুষ, কিন্তু মানুষ ছাড়া অন্য প্রাইমেটিদেরদের মধ্যেও সংক্রামিত হয়। একবারের কামড়ালেই সংক্রমণ হতে পারে। স্ত্রী মশা ডেঙ্গু আক্রান্তর রক্তপান করে নিজে সংক্রমিত হয় ও পেটে ভাইরাস বহন করে। প্রায় ৮-১০ দিন পর ভাইরাস মশার দেহের অন্যান্য কোষে ছড়িয়ে পড়ে যার মধ্যে আছে মশার লালাগ্রন্থি এবং শেষে এর লালায় চলে আসে। সারা জীবনের জন্য আক্রান্ত হলেও মশার উপর এই ভাইরাসের কোন ক্ষতিকারক প্রভাব পড়ে না । এডিস ইজিপ্টি” কৃত্রিম জলাধারে ডিম পাড়তে, মানুষের সবচেয়ে কাছে থাকতে এবং অন্যান্য মেরুদন্ডীদের চাইতে মানুষের রক্ত খেতে বেশি পছন্দ করে। সংক্রমিত রক্তসম্বন্ধী সামগ্রী এবং অঙ্গদান-এর মাধ্যমেও ডেঙ্গু পরিবাহিত হতে পারে। সিঙ্গাপুর-এর মত দেশগুলিতে, যেখানে ডেঙ্গু প্রতিদিনের ব্যাপার, সেখানে ঝুঁকির পরিমাণ প্রতি ১০০০০ ট্রান্সফিউশন-এ ১.৬ থেকে ৬-এর মধ্যে। উল্লম্ব প্রবাহন (মায়ের থেকে শিশু)জানা গেছে গর্ভাবস্থায় বা জন্মের সময়ে। অন্য ব্যক্তি-থেকে-ব্যক্তি প্রবাহনের বিষ্যেও জানা গেছে, কিন্তু তা খুবই অস্বাভাবিক। রোগের প্রকৃতি শিশু ও ছোট বাচ্চাদের মধ্যে রোগের প্রাবল্য বেশি দেখা যায় এবং অন্যান্য সংক্রমণের তুলনায় এটি বাচ্চাদের পক্ষে বেশি সাধারণ আর এর পরিচর্যা তুলনামূলকভাবে ভাল। এতে পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের বিপদ বেশি। যাদের ক্রনিক অসুখ আছে যেমন, ডায়াবিটিস ও অ্যাজমা তাদের পক্ষে ডেঙ্গু প্রাণঘাতী হতে পারে। পলিমরফিজম (বহুরুপতা) কোন বিশেষ জিনে সংযুক্ত হলে প্রবল ডেঙ্গু জটিলতার বিপদ বাড়ে। উদাহরণ স্বরুপ, প্রোটিনের জিনের কোডিংকে বলে TNFα, মান্নান-বাইন্ডিং লেক্টিন, CTLA4, TGFβ, DC-SIGN, এবং বিশেষ করে হিউম্যান লিউকোসাইট অ্যান্টিজেন-এর গঠন। আফ্রিকাবাসীদের এক সাধারণ জিনগত অস্বাভাবিকতা, যাকে বলে গ্লুকোজ-6-ফসফেট ডিহাইড্রোজেনাস ডেফিসিয়েন্সি, বিপদকে বাড়িয়ে তোলে। ভিটামিন ডি রিসেপটর এবং FcγR-এর জিনের বহুরুপতা সেকেন্ডারী ডেঙ্গু সংক্রমণে রোগের প্রবলতার বিরুদ্ধে সুরক্ষা প্রদান করে। কার্যপদ্ধতি যখন ডেঙ্গু ভাইরাস বহনকারী মশা কাউকে কামড়ায়, মশার লালার মাধ্যমে ভাইরাস ত্বকের ভিতর প্রবেশ করে। এটি বাসস্থান পাকা করে নেয় এবং শ্বেত রক্তকোষে প্রবেশ করে, এবং যখন কোষগুলি শরীরের সর্বত্র চলাচল করে তখন সেগুলির ভিতরে এই ভাইরাস প্রজননকার্য চালিয়ে যায়। এর প্রতিক্রিয়ায় শ্বেত রক্তকোষগুলি বহুসংখ্যক সিগন্যালিং প্রোটিন তৈরি করে, যেমন ইন্টারফেরন, যা অনেকগুলি উপসর্গের জন্য দায়ী, যেমন জ্বর, ফ্লু-এর মত উপসর্গ, এবং প্রচন্ড যন্ত্রণা। প্রবল সংক্রমণে, শরীরের ভিতরে ভাইরাসের উৎপাদন অত্যধিক বৃদ্ধি পায়, এবং অনেক বেশি প্রত্যঙ্গ (যেমন যকৃত এবং অস্থিমজ্জা) ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, এবং রক্তস্রোত থেকে তরল ক্ষুদ্র রক্তনালিগুলির দেওয়াল থেকে শরীরগহ্বরে চুঁইয়ে পড়ে। ফলে, রক্তনালিগুলিতে কম রক্ত সংবহিত হয় এবং রক্তচাপ এত বেশি কমে যায় যে প্রয়োজনীয় অঙ্গসমূহে যথেষ্ট পরিমাণে রক্ত সরবরাহ হতে পারে না। উপরন্তু অস্থিমজ্জা কাজ না করায় অনুচক্রিকা বা প্লেটলেটসের সংখ্যা কমে যায় যা কার্যকরী রক্ততঞ্চনের জন্য দরকারি; এতে রক্তপাতের সম্ভাবনা বেড়ে যায় যা ডেঙ্গু জ্বরের অন্যতম বড় সমস্যা। ভাইরাস প্রতিরূপকরণ ত্বকের ভিতর একবার ঢুকে যাওয়ার পর ডেঙ্গু ভাইরাস ল্যাঞ্জারহান্স কোষ-এ বাসা বাঁধে(ত্বকে ডেনড্রাইটিক কোষ-এর সমষ্টি যা রোগসৃষ্টিকারী জীবাণুকে সনাক্ত করে)। ভাইরাস ল্যাঞ্জারহান্স কোষে ভাইরাল প্রোটিন ও মেমব্রেন প্রোটিন-এর বন্ধন সৃষ্টির মাধ্যমে কোষে প্রবেশ করে, বিশেষ করে C-type lectin যাকে বলে DC-SIGN, mannose receptor এবং CLEC5A। DC-SIGN, ডেনড্রাইটিক কোষে বাইরের বস্তুর এক অনির্দিষ্ট গ্রহণকর্তা, প্রবেশের মুখ্য দ্বার হিসাবে ধরা হয়। ডেনড্রাইটিক কোষ নিকটতম লিম্ফ নোডের কাছে যায়। ইতিমধ্যে, কোষের এন্ডোপ্লাজমিক রেটিকিউলাম-এ মেমব্রেন-বদ্ধ থলিতে ভাইরাসের জিন প্রতিরূপীকৃত হতে থাকে, যেখানে কোষের প্রোটিন সংশ্লেষ যন্ত্রে নতুন ভাইরাল প্রোটিন তৈরি হতে থাকে ও ভাইরাল RNA কপি হয়ে যায়। অপরিণত ভাইরাস কণা পরিবাহিত হয় গলগি অ্যাপারেটাসে, কোষের এক অংশ যেখানে কিছু প্রোটিন প্রয়োজনীয় সুগার চেন (গ্লাইসোপ্রোটিন গ্রহণ করে। এইবার পরিণত নতুন ভাইরাস সংক্রামিত কোষের জমিতে বিকশিত হয় এবং এক্সোসাইটোসিস পদ্ধতির মাধ্যমে নির্গত হয়। এরপর এগুলি অন্যান্য শ্বেত রক্তকোষের, যেমন মনোসাইট এবংম্যাক্রোফেজ, ভিতর প্রবেশ করতে সক্ষম হয়। সংক্রামিত কোষগুলি প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় ইন্টারফেরন তৈরি করে, যা একপ্রকার সাইটোকিন এবং JAK-STAT pathway-র উদ্যোগে প্রোটিনের এক বড় সমূহর বৃদ্ধি ঘটিয়ে ভাইরাল সংক্রমণের বিরুদ্ধে অসংখ্য স্বাভাবিক ইমিউন সিস্টেমের মাধ্যমে গড়ে তোলে। ডেঙ্গু ভাইরাসের কিছু প্রকারের সম্ভবতঃ এই পদ্ধতির গতি শ্লথ করে দেবার কারিগরি আছে। ইন্টারফেরন অ্যাডাপটিভ ইমিউন সিস্টেমকেও কার্যকরী করে তোলে, যার ফলে ভাইরাসের বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডি আর T কোষ তৈরি হয় যা ভাইরাসের দ্বারা সংক্রামিত যে কোন কোষকে সরাসরি আক্রমণ করে। বিভিন্ন অ্যান্টিবডি তৈরি হয়; কিছু ভাইরাল প্রোটিনকে শক্তভাবে বেঁধে ফ্যাগোসাইটোসিসের (বিশিষ্ট কোষ দ্বারা ভক্ষণ ও ধ্বংস)জন্য তাদের লক্ষ্যবস্তু বানায়, কিন্তু কিছু অ্যান্টিবডি ভাইরাসকে ভালভাবে বাঁধে না এবং ভাইরাসকে ফ্যাগোসাইটের অংশে পরিণত করে ধ্বংস না করে আরো প্রতিরূপ বানাতে সক্ষম করে তোলে। রোগের প্রাবল্য এটা এখনও পুরোপুরি পরিষ্কার নয় যে কেন ডেঙ্গু ভাইরাসের এক ভিন্ন পর্যায়যুক্ত মধ্যম সংক্রমণে মানুষ ডেঙ্গু হেমারেজিক ফিভার ও ডেঙ্গু শক সিনড্রোমে আক্রান্ত হয়। সর্বাধিক গ্রাহ্য অনুমান হ’ল অ্যান্টিবডি-নির্ভরতা বৃদ্ধি বা antibody-dependent enhancement (ADE)। ADE-র পিছনের কলাকৌশল অস্পষ্ট। নন-নিউট্রালাইজিং অ্যান্টিবডিগুলির দুর্বল বন্ধন এবং ভাইরাসগুলিকে খেয়ে ফেলে ধ্বংসকারী শ্বেত রক্তকোষের ভুল কক্ষে ডেলিভারীর কারণে তা হতে পারে। একটা সন্দেহের অবকাশ আছে যে প্রবল ডেঙ্গু-সংক্রান্ত জটিলতার পিছনে ADE-ই একমাত্র কারণ নয়।, T কোষ এবং দ্রাব্য কারণ যেমন সাইটোকিন ও কমপ্লিমেন্ট সিস্টেমের ভূমিকা সম্পর্কে জানতে গবেষণার বিভিন্ন ধারা প্রযুক্ত হয়েছে। দু’টি সমস্যায় রোগের প্রাবল্য চিহ্নিত হয়েছে: এন্ডোথেলিয়াম-এর (রক্তনালীগুলির পঙক্তি রক্ষাকারী কোষ) কাজ বন্ধ করা এবং রক্ত তঞ্চন-এর বিশৃঙ্খলতা। এন্ডোথেলিয়াল ডিসফাংশানের ফলে রক্তনালী থেকে বুক ও পেটের গহ্বরে লিকেজ হয় আর বিশৃঙ্খল কোঅ্যাগুলেশনে রক্তপাতজনিত জটিলতা বাড়ে। রক্তে উচ্চ মাত্রায় ভাইরাসের উপস্থিতি ও অন্যান্য অঙ্গের (যেমন অস্থিমজ্জা ও লিভার)জড়িত হয়ে পড়া রোগের অধিক প্রাবল্যের জন্য দায়ী। সংক্রামিত অঙ্গের কোষগুলি মারা যায়, ফলে সাইটোকিন মুক্ত হয় এবং কোঅ্যাগুলেশন ও ফাইব্রিনোলাইসিস (রক্ততঞ্চন ও তঞ্চনের অবনতির বিরুদ্ধ ব্যবস্থা) সক্রিয় হয়ে ওঠে। একসাথে এই বৈপরীত্য এন্ডোথেলিয়াল ডিসফাংশান ও কোঅ্যাগুলেশন ডিসঅর্ডারকে ডেকে আনে। রোগনিরূপণ ডেঙ্গুর রোগনিরূপণ সাধারণতঃ ক্লিনিক্যালি হয়, উপসর্গসমূহের রিপোর্ট ও শারীরিক পরীক্ষার ভিত্তিতে; এটি বিশেষ করে মহামারী এলাকায় প্রযুক্ত হয়। তবে, রোগের প্রাথমিক পর্যায়কে অন্যান্য ভাইরাল সংক্রমণ থেকে আলাদা করা শক্ত হতে পারে। সম্ভাব্য রোগনিরূপণের ভিত্তি হ’ল জ্বরের সাথে সাথে নিচের যে কোন দু’টি : গা-বমি ভাব এবং বমি, র‍্যাশ, সাধারণীকৃত যন্ত্রণা, শ্বেত রক্তকোষ কাউন্টের হ্রাস, পজিটিভ টুর্নিকোয়েট টেস্ট, অথবা মহামারী এলাকায় বসবাসকারী কারুর ক্ষেত্রে যে কোন বিপদসূচক চিহ্ন (টেবিল দেখুন)। সাধারণতঃ বিপদসূচক চিহ্নগুলি প্রবল ডেঙ্গু আক্রমণের আগে দেখা যায়। টুর্নিকোয়েট টেস্ট সেইসব জায়গায় বিশেষভাবে উপযোগী যেখানে ল্যাবোরেটরি পরীক্ষা চট করে উপলভ্য নয়, এতে আছে পাঁচ মিনিট ব্লাড প্রেশার মাপার যন্ত্র-এর প্রয়োগ, এরপর যে কোন লাল ফুস্কুড়িpetechial থেকে হেমারেজের সংখ্যাগণনা; অধিক সংখ্যা ডেঙ্গু রোগনিরূপণের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়। ট্রপিক বা সাবট্রপিক এলাকায় দু’সপ্তাহ ধরে কারুর জ্বর চললে তার ক্ষেত্রে রোগনিরূপণ করা প্রয়োজন। ডেঙ্গু জ্বর ও চিকুনগুনিয়া,যা একইরকম অনেক উপসর্গযুক্ত ভাইরাল সংক্রমণ এবং বিশ্বের একই ডেঙ্গুর প্রকোপিত এলাকায় আবির্ভূত হয়-এই দুইয়ের পার্থক্য করা কঠিন। প্রায়শঃ পরীক্ষাতে অন্যান্য অবস্থা বাদ দিতে হয়, যেগুলির কারণে একই প্রকার উপসর্গের সৃষ্টি হয়, যেমন ম্যালেরিয়া, লেপ্টোসপাইরোসিস, টাইফয়েড ফিভার, এবংমেনিনজোকোক্কাল ডিজিজ। ল্যাবোরেটরি পরীক্ষায় প্রাথমিক যে পরিবর্তন ধরা পড়ে তা হ’ল শ্বেত রক্তকোষ কাউন্টে হ্রাস, যার পর হতে পারে অনুচক্রিকার হ্রাস এবং মেটাবোলিক অ্যাসিডোসিস। প্রবল অসুখে, প্লাজমা লিকেজের কারণে হয় হেমোকন্সেন্ট্রেশন (হেমাটোক্রিট বৃদ্ধিতে বোঝা যায় ) এবং হাইপোঅ্যালবুমিনিমিয়া।প্লিউরাল এফিউসন বা ascites বেশি হলে শারীরিক পরীক্ষার মাধ্যমে সনাক্ত করা যায়, তবে আল্ট্রাসাউন্ড-এর মাধ্যমে ফ্লুইডের পরীক্ষা ডেঙ্গু শক সিনড্রোমের প্রাথমিক সনাক্তকরণে সহায়তা করতে পারে। অনেক জায়গায় উপলভ্যতার অভাবের কারণে আল্ট্রাসাউন্ডের ব্যবহার সীমাবদ্ধ। বর্গীকরণ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ২০০৯-এর বর্গীকরণ অনুযায়ী ডেঙ্গু জ্বরকে দুই বিভাগে বিভাজিত করা হয়েছে: জটিলতাবিহীন এবং প্রবল। এটি ১৯৯৭-এর WHO বর্গীকরণকে অপসারিত করে, যার অত্যধিক অনমনীয়তার সরলীকরণ প্রয়োজন ছিল, যদিও পুরানো বর্গীকরণ এখনো ব্যাপকহারে ব্যবহৃত হয়। ১৯৯৭ সালের বর্গীকরণে ডেঙ্গুকে অবিচ্ছিন্ন জ্বর, ডেঙ্গু জ্বর, এবং ডেঙ্গু হেমারেজিক ফিভারে বিভক্ত করা হয়। ডেঙ্গু হেমারেজিক ফিভারকে আবার I–IV গ্রেডে উপবিভক্ত করা হয়। শুধুমাত্র কারুর জ্বরে সাধারণ কালশিটে বা পজিটিভ টুর্নিকোয়েট টেস্টে গ্রেড I-এর উপস্থিতি থাকে, গ্রেড II-এর উপস্থিতির ফলে ত্বক ও যে কোন জায়গা থেকে আপনাআপনি রক্তপাত হতে থাকে, গ্রেড III হ’ল শক-এর ক্লিনিক্যাল প্রমাণ, এবং গ্রেড IV –এ শক এত প্রবল হয় যে রক্ত চাপ এবং পালস সনাক্ত করা যায় না। গ্রেড III ও IV “ডেঙ্গু শক সিনড্রোম” নামে পরিচিত। ল্যাবোরেটরি টেস্ট ডেঙ্গু জ্বরের রোগনিরূপণ মাইক্রোবায়োলজিক্যাল টেস্টিং-এ হতে পারে। PCR, ভাইরাল অ্যান্টিজেন সনাক্তকরণ অথবা নির্দিষ্ট অ্যান্টিবডি (সেরোলজি) দ্বারা সেল কালচার, নিউক্লিক অ্যাসিড সনাক্তকরণ-এ ভাইরাসকে বিচ্ছিন্ন করে এটা হতে পারে। অ্যান্টিজেন সনাক্তকরণের চাইতে ভাইরাস বিচ্ছিন্নকরণ এবং নিউক্লিক অ্যাসিড সনাক্তকরণ আরো বেশি নির্ভুল, কিন্তু অধিক ব্যয়ের কারণে এই টেস্টগুলি সর্বত্র উপলভ্য নয়। রোগের প্রাথমিক পর্যায়ে সব টেস্টগুলিই নেগেটিভ হতে পারে। প্রথম সাত দিনে PCR এবং ভাইরাল অ্যান্টিজেন ডিটেকশন অনেক বেশি নির্ভুল। ২০১২ সালে চালু যে যন্ত্রপাতির মাধ্যমে PCR টেস্ট করা যায় তা ইনফ্লুয়েঞ্জা নিরূপণেও ব্যবহার করা হয় এবং এর ফলে PCR টেস্টিং আরো সহজলভ্য হবে। রোগের চরম পর্যায়ে এইসব ল্যাবোরেটরি টেস্টের শুধুমাত্র রোগনিরূপক মূল্য আছে, সেরোলজি এর ব্যতিক্রম। ডেঙ্গু ভাইরাস-ভিত্তিক অ্যান্টিবডি, IgG ও IgM টেস্ট, সংক্রমণের পরবর্তী পর্যায়ে রোগনিরূপণকে দৃঢ়ীকৃত করতে কাজে লাগতে পারে। IgG এবং IgM উভয়ই ৫-৭ দিন পর উৎপন্ন হয়। IgM-এর উচ্চতম মাত্রা(titre)প্রাথমিক সংক্রমণের পরে সনাক্ত হয়, কিন্তু মধ্যম ও অন্তিম সংক্রমণেও IgM তৈরি হয়। প্রাথমিক সংক্রমণের ৩০-৯০ দিন পরে কিন্তু পরবর্তী পুনর্সংক্রমণের আগে IgMকে সনাক্ত করা যায় না। বিপরীত দিকে, IgG, ৬০ বছরেরও বেশি সময় সনাক্তযোগ্য থাকে এবং, উপসর্গের অনুপস্থিতিতে অতীত সংক্রমণের এক প্রয়োজনীয় সূচক। প্রাথমিক সংক্রমণের পর রক্তে IgG ১৪-২১ দিন পর উচ্চতম মাত্রায় আরোহণ করে। পরবর্তী পুনর্সংক্রমণে মাত্রা আগেই উচ্চতম স্থানে চলে যায় এবং টাইটার (titres) সাধারণতঃ বেশি থাকে। IgG এবং IgM উভয়ই ভাইরাসের সংক্রমণকারী সেরোটাইপের সুরক্ষামূলক প্রতিরোধের ব্যবস্থা করে। ল্যাবোরেটরি টেস্টে IgG এবং IgM অ্যান্টিবডি অন্যান্য ফ্লেভিভাইরাসের, যেমন, ইয়েলো ফিভার ভাইরাস সাথে ক্রস-রিঅ্যাক্ট করতে পারে, যার ফলে সেরোলজির পরিচয় জানা কঠিন পারে। শুধুমাত্র IgG-র সনাক্তকরণ রোগনিরূপক ধরা হবে না যতক্ষণ না ১৪ দিন পর পর রক্তের সংগ্রহ করা হচ্ছে এবং নির্দিষ্ট IgG-র চতুর্গুণের বেশি বৃদ্ধি সনাক্ত হচ্ছে। উপসর্গসহ কোন ব্যক্তির IgM সনাক্তকরণকে রোগনিরূপক ধরা হবে। প্রতিরোধ alt=জমা জল ভর্তি গর্ত বুজোতে ব্যস্ত লোকেদের সাদা কালো ছবি|thumb|১৯২০ সালের ছবিতে দেখা যাচ্ছে জমা জল সরিয়ে মশার সংখ্যাহ্রাসের প্রচেষ্টা ডেঙ্গু ভাইরাসের কোন স্বীকৃত টিকা ভ্যাকসিন নেই। সুতরাং প্রতিরোধ নির্ভর করে জীবাণুবাহী মশা নিয়ন্ত্রণ এবং তার কামড় থেকে সুরক্ষার উপর। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা পাঁচটি মৌলিক দিশাসমেত সংবদ্ধ একমুখী নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচীর সুপারিশ করেছে: (১) প্রচার, সামাজিক সক্রিয়তা, এবং জনস্বাস্থ্য সংগঠন ও সমুদায়সমূহকে শক্তিশালী করতে আইন প্রণয়ন, (২)  স্বাস্থ্য ও অন্যান্য বিভাগসমূহের মধ্যে সহযোগিতা (সরকারী ও বেসরকারী), (৩) সম্পদের সর্বাধিক ব্যবহার করে রোগ নিয়ন্ত্রণে সুসম্বদ্ধ প্রয়াস, (৪) যে কোন হস্তক্ষেপ যাতে সঠিক লক্ষ্যবস্তুতে হয় তা সুনিশ্চিত করতে প্রমাণ-ভিত্তিক সিদ্ধান্তগ্রহণ এবং (৫)  স্থানীয় অবস্থায় পর্যাপ্ত সাড়া পেতে সক্ষমতা বৃদ্ধি। A. aegypti কে নিয়ন্ত্রণ করার প্রাথমিক পদ্ধতি হ’ল এর বৃদ্ধির পরিবেশকে ধ্বংস করে ফেলা। জলের আধার খালি করে অথবা কীটনাশক প্রয়োগ করে অথবা এইসব জায়গায় বায়োলজিক্যাল কন্ট্রোল এজেন্টপ্রয়োগ করে, যদিও spraying with অর্গ্যানোফসফেট বা পাইরেথ্রয়েড স্প্রে করাকে খুব লাভজনক ভাবা হয় না। স্বাস্থ্যের উপর কীটনাশকের কুপ্রভাব এবং কন্ট্রোল এজেন্টের ব্যয়বহুলতার কথা মাথায় রেখে পরিবেশ শোধনের মাধ্যমে জমা জল কম করাটাই নিয়ন্ত্রণের সবচেয়ে ভাল উপায়। মানুষজন পুরো শরীর ঢাকা পোষাক পরে, বিশ্রামের সময় মশারী ব্যবহার করে এবং/বা কীট প্রতিরোধক রাসায়নিক (DEET সবচেয়ে কাজের)প্রয়োগ করে মশার কামড় এড়াতে পারে।. ব্যবস্থাপনা ডেঙ্গু জ্বরের কোন নির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই। রোগের লক্ষণের উপর চিকিৎসা নির্ভর করে, বাড়িতে নিয়মিত দেখাশোনার সঙ্গে ওরাল রিহাইড্রেশন থেরাপি থেকে শুরু করে হাসপাতালে ভর্তি করে ইন্ট্রাভেনাস থেরাপি এবং/বা ব্লাড ট্রান্সফিউশন পর্যন্ত। Aসাধারণতঃ হাসপাতালে ভর্তি করার সিদ্ধান্ত নির্ভর করে উপরের সারণীর তালিকাভুক্ত “বিপদসূচক চিহ্ন”-এর উপর, বিশেষ করে যাদের স্বাস্থ্যের সমস্যা আগে থেকেই আছে। সাধারণতঃ ইন্ট্রাভেনাস হাইড্রেশনের প্রয়োজন মাত্র এক কি দুইদিন পড়ে। urinary output আয়তনিক বিশ্লেষণে ফ্লুইড অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের হার ০.৫-১ মিলি/কেজি/ঘণ্টা, স্থিতিশীল ভাইটাল সাইন এবং হেমাটোক্রিট-এর স্বাভাবিকীকরণ। আগ্রাসী মেডিক্যাল পদ্ধতি, যেমন ন্যাসোগ্যাস্ট্রিক ইন্টিউবেশন, ইন্ট্রামাসকুলার ইঞ্জেকশন এবং আর্টারিয়াল পাংচার এড়িয়ে চলতে হবে কারণ এতে রক্তপাতের সম্ভাবনা থাকে। জ্বর ও অস্বস্তির জন্য প্যারাসিটামল(অ্যাসিটামিনোফেন)ব্যবহার করা হয় আর NSAID যেমন আইবিউপ্রোফেন এবং অ্যাসপিরিনএড়িয়ে চলা হয় কারণ এগুলি রক্তপাতের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়। “হ্রাসমান হেমাটোক্রিট”-এর সম্মুখীন অস্থিতিশীল ভাইটাল সাইনযুক্ত কোন রোগীর ক্ষেত্রে কোন পূর্বস্থিরীকৃত “ট্রান্সফিউশন ট্রিগার”-এর মাত্রায় নামিয়ে আনতে হিমোগ্লোবিন কন্সেন্ট্রেশনের জন্য অপেক্ষা করার চাইতে আগেই ব্লাড ট্রান্সফিউশন শুরু করে দেওয়া হয়। প্যাক করা লোহিত রক্তকণিকা অথবা বিশুদ্ধ রক্ত সুপারিশ করা হয়, যেটা সাধারণতঃ প্লেটলেট এবং ফ্রাশ ফ্রোজেন প্লাজমাকে করা হয় না। আরোগ্য পর্যায়ে ফ্লুইড ওভারলোড আটকাতে ইন্ট্রাভেনাস ফ্লুইড বন্ধ করে দেওয়া হয়। যদি ফ্লুইড ওভারলোড ঘটে এবং ভাইটাল সাইন স্থিতিশীল থাকে তাহলে অতিরিক্ত ফ্লুইড বন্ধ করে দিলেই যথেষ্ট। যদি কোন ব্যক্তি বিপজ্জনক পর্যায়ের বাইরে থাকে, রক্তপ্রবাহ থেকে অতিরিক্ত ফ্লুইড বের করতে লুপ ডিউরেটিক যেমন ফিউরোসেমাইড ব্যবহার করা যেতে পারে। এপিডেমিওলজি alt= পৃথিবীর ম্যাপে সেই দেশগুলি যেখানে এডিস মশা পাওয়া গেছে, আর যেখানে এডিস ও ডেঙ্গুর খবর পাওয়া গেছে|thumb|২০০৬-এর ডেঙ্গু বিভাজন।Red: ডেঙ্গু মহামারী ও Ae. aegyptiAqua: শুধু Ae. aegypti বেশির ভাগ লোকই কোন স্থায়ী সমস্যা ছাড়াই ডেঙ্গু থেকে আরোগ্যলাভ করে। মৃত্যুহার চিকিৎসা ছাড়া ১-৫%, এবং পর্যাপ্ত চিকিৎসায় ১%-এরও কম; তবে রোগের চরম পর্যায়ে মৃত্যুহার ২৬%। ১১০টিরও বেশি দেশে ডেঙ্গু মহামারীর আকার নিয়েছে। সারা পৃথিবী জুড়ে বছরে ৫০ থেকে ১০০ মিলিয়ন লোকের মধ্যে এটি সংক্রামিত হয়, যার মধ্যে ৫ লক্ষকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়, এবং প্রায় ১২৫০০-২৫০০০ মৃত্যু ঘটে। আর্থ্রোপডদ্বারা পরিবাহিত সবচেয়ে সাধারণ ভাইরাসঘটিত রোগ, ডেঙ্গুর disease burden হিসাব করা হয়েছে প্রতি মিলিয়ন জনসংখ্যায় ১৬০০ disability-adjusted life year(সুস্থ থাকার বছর), যা টিউবারকিউলোসিস-এর মত অন্যান্য শৈশব ও ট্রপিক্যাল রোগের সমান। ট্রপিক্যাল রোগ হিসাবে গুরুত্বের দিক দিয়েম্যালেরিয়ার পরেই ডেঙ্গুর স্থান, যদিও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ষোলটি অবহেলিত ট্রপিক্যাল রোগের মধ্যে অন্যতম ধরে। ১৯৬০ থেকে ২০১০-এর মধ্যে ডেঙ্গুর ঘটনা ৩০ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এই বৃদ্ধির কারণ হিসাবে মনে করা হয় শহরীকরণ, জনসংখ্যা বৃদ্ধি, আন্তর্জাতিক যাত্রার বৃদ্ধি, এবং বৈশ্বিক উষ্ণায়ন-এর সম্মিলন। ভৌগোলিক বিভাজন অনুযায়ী বিষুবরেখার চারপাশে মোট ২.৫  বিলিয়ন জনসংখ্যার ৭০%ই এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে মহামারীপ্রবণ এলাকায় বসবাস করে। আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রে, মহামারীপ্রবণ এলাকা থেকে জ্বর নিয়ে ফিরে এসেছে এমন লোকেদের মধ্যে ডেঙ্গু সংক্রমণের হার ২.৯-৮%, এবং এই গোষ্ঠীতে ম্যালেরিয়ার পর এটি দ্বিতীয় সবচেয়ে সাধারণ সংক্রমণ হিসাবে নিরূপিত হয়েছে। ২০০৩ পর্যন্ত, ডেঙ্গুকে সম্ভাব্য জৈবসন্ত্রাসের চর হিসাবে ধরা হত, কিন্তু পরবর্তী রিপোর্টগুলিতে এই বিভাজন অপসারিত হয় কারণ দেখা যায় এটি অন্তরিত হওয়া খুবই কঠিন এবং এর কারণে তুলনামূলকভাবে স্বল্প অনুপাতে লোকেদের হেমারেজিক ফিভার হয়। বেশির ভাগ আর্বোভাইরাসের মতোই ডেঙ্গু ভাইরাসের জীবনচক্রের প্রকৃতি রক্তশোষণকারী বাহক এবং মেরুদন্ডী শিকার বজায় রাখে। এই ভাইরাস দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও আফ্রিকার অরণ্যে স্ত্রী “এডিস” মশা-A. aegypti থেকে আলাদা প্রজাতি- দ্বারা তার পরবর্তী বংশধর ও লোয়ার প্রাইমেটে পরিবাহিত হয়। গ্রাম্য পরিবেশে এই ভাইরাস A. aegypti এবং “এডিস”-এর অন্য প্রজাতি, যেমন A. albopictusদ্বারা পরিবাহিত হয়। শহর ও নগরে এই ভাইরাস মানুষের শরীরে মূলতঃ A. aegypti দ্বারা পরিবাহিত হয়, যে মশা বাড়িঘরে খুব বেশি থাকে। সব জায়গাতেই, সংক্রামিত লোয়ার প্রাইমেট বা মানুষের শরীরে পরিবাহিত ডেঙ্গু ভাইরাসের সংখ্যা বহুগুণ বেড়ে যায়। একে বলে অ্যামপ্লিফিকেশন। শহর চক্র (The urban cycle) মানুষের শরীরে সংক্রমণে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং ডেঙ্গু সংক্রমণ মূলতঃ শহর ও নগরে আবদ্ধ। সাম্প্রতিক দশকগুলিতে মহামারী প্রবণ এলাকাগুলিতে গ্রাম, শহর ও নগরের সম্প্রসারণ, এবং মানুষের বর্ধিত চলাচল মহামারীর বৃদ্ধি ও ভাইরাস ছড়ানোর জন্য দায়ী। ডেঙ্গু জ্বর, যা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় সীমাবদ্ধ ছিল, তা আজ দক্ষিণ চীন, প্রশান্ত মহাসাগরের দেশসমূহ ও আমেরিকায় ছড়িয়ে পড়েছে।, এবং ইউরোপে ছড়ানোর সম্ভাবনাও দেখা দিয়েছে। ইতিহাস সম্ভাব্য ডেঙ্গু জ্বরের ঘটনার প্রথম বিবরণ পাওয়া জিন বংশের (২৬৫-৪২০ খ্রীষ্টাব্দ) এক চীনা মেডিক্যাল এনসাইক্লোপিডিয়ায় (বিশ্বকোশ) যেখানে উড়ন্ত পতঙ্গের সাথে সম্পর্কযুক্ত “জলীয় বিষ”-এর কথা বলা হয়েছে। have ১৭শ শতাব্দীর এক মহামারীর বিবরণও পাওয়া যায়, কিন্তু ডেঙ্গু মহামারীর সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য প্রথম বিবরণ পাওয়া যায় ১৭৭৯ ও ১৭৮০তে, যখন এক মহামারীর কবলে পড়েছিল এশিয়া, আফ্রিকা ও উত্তর আমেরিকা। তখন থেকে ১৯৪০ সাল পর্যন্ত মহামারী অনিয়মিত ছিল। ১৯০৬ সালে “এডিস ইজিপ্তাই” মশার পরিবাহিতা সম্পর্কে সবাই নিশ্চিত হয়, এবং ১৯০৭ সালে ভাইরাস ঘটিত রোগের মধ্যে ডেঙ্গু হয়ে ওঠে দ্বিতীয় (ইয়েলো ফিভার-এর পরেই)। জন বার্টন ক্লেল্যান্ড এবং জোসেফ ফ্র্যাঙ্কলিন সিলার আরো গবেষণা চালিয়ে ডেঙ্গু পরিবাহিতার মূল প্রতিপাদ্য সম্পূর্ণ করেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ও তারপর ডেঙ্গুর লক্ষণীয় বিস্তারের কারণ হিসাবে পরিবেশগত ধ্বংসের কথা বলা হয়। একই প্রবণতা রোগের বিবিধ সেরোটাইপের নতুন নতুন এলাকা বিস্তারে এবং ডেঙ্গু হেমারেজিক ফিভারের উদ্ভবে দেখা যায়। রোগের এই চরম রূপের বিবরণ ১৯৫৩ সালে প্রথম ফিলিপাইন্সে পাওয়া যায়; ১৯৭০-এ এটি শিশু মৃত্যুর এক প্রধান কারণ হয়ে ওঠে এবং আমেরিকা ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে এর প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। ১৯৮১ সালে মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকায় ডেঙ্গু হেমারেজিক ফিভার ও ডেঙ্গু শক সিনড্রোম প্রথম পরিলক্ষিত হয়,যখন অনেক বছর আগের DENV-1 আক্রান্তরা DENV-2তে আক্রান্ত হয়। শব্দের উদ্ভব “ডেঙ্গু” শব্দের উদ্ভব পরিষ্কার নয়, তবে একটা মত হ’ল এটি এসেছে Swahili শব্দবন্ধ কা-ডিঙ্গা পেপো, যার অর্থ দুষ্ট আত্মার কারণে ঘটিত রোগ। সোয়াহিলি শব্দ “ডিঙ্গা” খুব সম্ভব স্পেনীয় শব্দ “ডেঙ্গু”র মূলে আছে যার অর্থ খুঁতখুঁতে বা সাবধানী, যা ডেঙ্গু জ্বরের হাড়ের ব্যথায় আক্রান্ত ব্যক্তির চলনকে বর্ণনা করে। তবে, এটাও সম্ভব যে এই স্পেনীয় শব্দের ব্যবহার একই উচ্চারণের সোয়াহিলি থেকে এসেছে। বলা হয়, ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রীতদাসদের মধ্যে যাদের ডেঙ্গু হ’ত তাদের ভঙ্গিমা ও চলন ডান্ডি (নৌকা)র মত হয়ে যেত আর তাই রোগটি “ডান্ডি জ্বর” নামে পরিচিত ছিল। “ব্রেক বোন ফিভার” শব্দটি প্রথম প্রয়োগ করেন পদার্থবিদ ও যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা বেঞ্জামিন রাশ, ১৭৮০ সালের ফিলাডেলফিয়ার মহামারীর উপর ১৭৮৯ সালে লিখিত এক রিপোর্টে।রিপোর্টে তিনি মূলতঃ “বিলিয়াস রেমিটিং ফিভার”শব্দটি ব্যবহার করেন। ১৮২৮-এর পর ডেঙ্গু জ্বর শব্দটির ব্যবহার শুরু হয়। অন্যান্য ঐতিহাসিক শব্দের মধ্যে আছে “ব্রেকহার্ট ফিভার” এবং “লা ডেঙ্গু”। প্রবল রোগের শব্দাবলীর মধ্যে আছে "ইনফেকচুয়াস থ্রম্বোসাইটোপেনিক পার্পারা" এবং "ফিলিপাইন", "থাই", বা "সিঙ্গাপুর হেমোরেজিক ফিভার"। গবেষণা alt=দুটি লোক মাছভর্তি থলি জমা জলে ঢালছে; মাছ মশার লার্ভা খেয়ে ফেলে|thumb| জৈব নিয়ন্ত্রণ প্রচেষ্টার অঙ্গ হিসাবে ব্রাজিলের ব্রাসিলিয়া প্রদেশের লাগো নোর্তেতে এক কৃত্রিম হ্রদে জনস্বাস্থ্য আধিকারিকরা P. reticulata-এর ডিম ছাড়ছেন। গবেষণা ডেঙ্গু প্রতিরোধ ও নিরাময়ের প্রচেষ্টা চালাচ্ছে যার মধ্যে আছে পরিবাহী (মশা) নিয়ন্ত্রণের নানাবিধ উপায়, ভ্যাকসিনের উন্নতি, এবং অ্যান্টিভাইরাল ড্রাগ। পরিবাহী নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে অনেক অভূতপূর্ব পদ্ধতি মশার সংখ্যা হ্রাস করতে প্রয়োগ করে সাফল্য পাওয়া গেছে যেমন জমা জলে গাপ্পি(Poecilia reticulata) বা copepods-এর চাষ যা মশার লার্ভা খেয়ে ফেলে। Wolbachia প্রজাতির ব্যাক্টিরিয়া দ্বারা মশার বংশকে আক্রান্ত করানোর চেষ্টা জারী আছে যা মশাকে আংশিকরূপে ডেঙ্গু ভাইরাস প্রতিরোধী করে তোলে। চারটি সেরোটাইপের সবগুলির মোকাবিলা করতে পারে এমন এমন ডেঙ্গু ভ্যাকসিনের উপর অনেকগুলি প্রকল্প জারী আছে। একটা আশঙ্কা আছে যে ভ্যাকসিন অ্যান্টিবডি-নির্ভর বৃদ্ধির মাধ্যমে প্রবল রোগের বৃদ্ধি ঘটাতে পারে। আদর্শ ভ্যাকসিন নিরাপদ, একটি বা দু’টি ইঞ্জেকশনের পর কার্যকরী, সব সেরোটাইপের মোকাবিলা করে, ADEতে অংশগ্রহণ করেনা, স্থানান্তরণ ও সঞ্চয় করা সহজ, ক্রয় সাধ্য ও স্বল্পমূল্য। ২০০৯ সালে বহুসংখ্যক ভ্যাকসিন পরীক্ষিত হয়েছে। আশা করা যায়, ২০১৫ সালে প্রথম প্রোডাক্টগুলি বাণিজ্যিকভাবে উপলভ্য হবে। “এডিস” মশার বিস্তার নিয়ন্ত্রণের প্রচেষ্টা এবং ডেঙ্গুর ভ্যাকসিনের উন্নতির কাজ ছাড়াওঅ্যান্টি ভাইরাল ড্রাগ-এর উন্নয়নের প্রচেষ্টাও জারী আছে যা ডেঙ্গু জ্বরের আক্রমণের চিকিৎসা এবং প্রবল জটিলতা প্রতিরোধে ব্যবহার করা যায়। ভাইরাল প্রোটিনের আকৃতির আবিষ্কার কার্যকরী ওষুধের উন্নয়নে সাহায্য করতে পারে। অনেকগুলি যুক্তিযুক্ত লক্ষ্য আছে।প্রথম প্রচেষ্টা হ’ল ভাইরাল RNA-dependent RNA polymerase (কোড NS5) –এর প্রতিরোধ, যা জিনগত বস্তুর প্রতিরূপ তৈরি করে নিউক্লিওসাইড অ্যানালগ-এর সাহায্যে । দ্বিতীয়তঃ, ভাইরাল প্রোটিজ (কোড NS3) -এর নির্দিষ্ট প্রতিরোধক তৈরি করা সম্ভব যা ভাইরাল প্রোটিনকে ছিন্ন করে দিতে পারে। সব শেষে এন্ট্রি ইনহিবিটর তৈরি করা সম্ভব, যা কোষে ভাইরাসের অনুপ্রবেশ বন্ধ করবে,অথবা 5′ ক্যাপিং পদ্ধতির ইনহিবিটর যা ভাইরাস প্রতিরূপকরণে দরকার হয়। সমস্যা ও প্রতিষেধক প্রচন্ড জ্বর, সর্বাঙ্গে বিশেষত হাড়ে ও গাঁটে গাঁটে ব্যথা, রক্তের প্লাটিলেট দ্রুত কমে যাওয়া, কালসিটেপড়া, শরীরের বিভিন্ন স্থান দিয়ে রক্ত পড়া এর উপসর্গ । গত বছর থেকে ডেঙ্গু জ্বরের নতুন একটি সমস্যা দেখা যাচ্ছে তা হল লিভার আক্রান্ত হওয়া, এতে রুগি দূর্বল বোধ করে, খেতে পারে না, বমি হয়, লিভার ব্যথা করে। এটি সাধারণত জ্বর কমে যাওয়ার পর পর দেখা দেয় এবং ৫-৭ দিন থাকতে পারে। এই রোগে গত কয়েক বছর বেশ কিছু মানুষ মারা যায়। এডিস মশা প্রতিরোধ এডিস মশা শুধু দিনের বেলায় কামড়ায়। ফলে দিনের বেলায়ই এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। বিভিন্ন স্থানে জমে থাকা বৃষ্টির জল ও পরিষ্কার জল। ৪/৫ দিন জমে থাকা জল হল এডিস এর বংশ বিস্তারের স্থান, তাই মশা বংশ বিস্তার করতে না পারলে এ রোগ ছড়ানোর সম্ভাবনাও কম। কয়েকবছর এরোগের ভয়াবহতায় এডিস মশা যাতে বংশ বিস্তার করতে না পারে তাই জনসচেতনতা মূলক কার্যক্রম পরিচালনা চলছে। এটি বর্ষা মৌসুমেই সাধারণত দেখা দেয়। লক্ষণ এবং উপসর্গ সাধারণত, ডেঙ্গু ভাইরাস সংক্রমিত মানুষের কোনো লক্ষণ থাকে না (৮০%) অথবা শুধুমাত্র একটি অজটিল লক্ষণ দেখা দেয় যেমন হালকা জ্বর ইত্যাদি। অন্যান্যদের আরো গুরুতর অসুস্থতা (৫%) দেখা দিতে পারে, এবং তা একটি ছোট অনুপাতে আশঙ্কাজনক হতে পারে। অণ্ডস্ফুটন সময়সীমার (এক্সপোজার এবং উপসর্গের সূত্রপাত মধ্যে সময়) 3-14 দিনের রেঞ্জে থাকে, কিন্তু অধিকাংশ খেত্রে এটা ৪-৭ দিন হয়। অতএব ভ্রমণকারীরা, কবলিত এলাকা থেকে ফিরে যদি জ্বর বা অন্যান্য উপসর্গ বাড়িতে আসার পরে আরো ১৪ দিনের মধ্যে শুরু না হয় তাহলে ডেঙ্গু আছে অসম্ভাব্য। শিশুদের মধ্যে প্রায়ই সাধারণ ঠান্ডা এবং gastroenteritis (বমি ও পাতলা পায়খানা) লক্ষণ ​​দেখা দেয় এবং একটি গুরুতর জটিলতার বেশি সম্ভাবনা থাকে, যদিও প্রাথমিক লক্ষণগুলি সাধারণত হালকা উচ্চ জ্বর। ক্লিনিকাল কোর্স thumb|left|300px|Clinical course of dengue fever ডেঙ্গুর বৈশিষ্ট্যগত উপসর্গ হলো হঠাৎ জ্বরের সূত্রপাত ,মাথা ব্যথা (সাধারণত চোখের পিছনে), পেশি এবং যুগ্ম যন্ত্রণা, এবং ফুসকুড়ি। ডেঙ্গুর অপর নাম, "breakbone জ্বর", যা সংশ্লিষ্ট পেশি এবং যুগ্ম যন্ত্রণা থেকে আসে। ডেঙ্গুর সংক্রমণ অবশ্যই পর্যায়ক্রমে তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়: জ্বরভাবাপন্ন, ক্রিটিক্যাল,এবং সুস্থতা। জ্বরভাবাপন্ন পর্বে উচ্চ জ্বর জড়িত থাকে, প্রায়ই ৪০ C (১০৪ F) উপর , সাধারণ ব্যথা এবং মাথা ব্যথার সাথে যুক্ত থাকে; এটি সাধারণত দুই থেকে সাত দিন স্থায়ী থাকে বমিও ঘটতে পারে। ৫০-৮০% মানুষের ফুসকুড়ির লক্ষণ হয় কিছু petechiae (ছোট লাল দাগ যা চামড়া চাপা হলে অন্তর্হিত হয় না), যা ভাঙা capillaries দ্বারা সৃষ্ট হয়, এই স্থানে প্রদর্শিত হতে পারে, এবং মুখ ও নাকের শ্লেষ্মা ঝিল্লি থেকে হালকা রক্তপাত হতে পারে। কিছু মানুষের মধ্যে, জ্বরের সময়টা একটি ক্রিটিক্যাল পর্বে উপনীতি হয় এবং সাধারণত এক থেকে দুই দিন স্থায়ী হয় এই সময়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তরল বুকে জমা হতে পারে এবং পেটের গহ্বর হতে পারে। সাধারণত এই পর্বে , অঙ্গ কর্মহীনতার এবং গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল এলাকা থেকে তীব্র রক্তক্ষরণ ঘটতে পারে। ডেঙ্গু শক সিনড্রোম এবং রক্তস্রাব । ডেঙ্গু ৫%এর কম ক্ষেত্রে ঘটে, তবে যারা ​​পূর্বে ডেঙ্গু ভাইরাসের অন্যান্য সংক্রমণ এর দ্বারা আক্রান্ত হয়েছে তাদের একটি বর্ধিত ঝুঁকি থাকে। এরপর সুস্থতার পর্ব ঘটে যেখানে অবাঞ্ছিত তরলের পরিমাণ ঘটে। এটি সাধারণত দুই থেকে তিন দিন স্থায়ী হয়। প্রায়ই লক্ষণীয় উন্নতি হয়, কিন্তু গুরুতর চুলকানি এবং ধীর গতির হৃৎস্পন্দন হতে পারে। অন্য ফুসকুড়ি যেমন মাকুলোপপুলার ফুসকুড়ি ঘটতে পারে,যা ত্বকের পিলিং দ্বারা অনুসরণ হয়। এই পর্যায়ে, একটি তরল ওভারলোড অবস্থা ঘটতে পারে; যদি এটা মস্তিষ্ককে প্রভাবিত করে, একটি চেতনা হ্রাস স্তর ঘটতে পারে। ক্লান্তি একটি অনুভূতি প্রাপ্তবয়স্কের মধ্যে সপ্তাহ পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। কার্যপ্রণালী যখন একটা ভাইরাস বহন ডেঙ্গু মশা একজন ব্যক্তিকে কামড়ায়, ভাইরাসটা মশার লালার সঙ্গে একসঙ্গে চামড়ার মধ্যে প্রবেশ করে। এটি রক্তের শ্বেতকণিকাতে প্রবেশ করে, কোষের ভিতর প্রজনন করে এবং সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। সংশ্লিষ্ট সমস্যার বিষয়ে ডেঙ্গু মাঝেমধ্যে শরীরের বিভিন্ন অন্যান্য সিস্টেমকে প্রভাবিত করতে পারে। একটি চেতনা হ্রাস মাত্রা তীব্র ক্ষেত্রে ০.৫-৬.০% হয়, যা মস্তিষ্কের ভাইরাস সংক্রমণ দ্বারা বিশেষণীয় হয় বা পরোক্ষভাবে অত্যাবশ্যক অঙ্গহানি হতে পারে যেমন, লিভার। তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ ডেঙ্গু জ্বর." () Centers for Disease Control বিষয়শ্রেণী:ডেঙ্গু জ্বর বিষয়শ্রেণী:পতঙ্গবাহিত রোগ বিষয়শ্রেণী:গ্রীষ্মমণ্ডলীয় রোগ বিষয়শ্রেণী:অবহেলিত গ্রীষ্মমণ্ডলীয় রোগ বিষয়শ্রেণী:টিকার মাধ্যমে প্রতিষেধযোগ্য রোগ
ডেঙ্গু জ্বর
রক্তশূন্যতা বা রক্তাল্পতা বা রক্তস্বল্পতা (অ্যানিমিয়া) হল রক্তে রক্তকণিকা স্বল্পতা অথবা রক্তের পরিমাণ বা অক্সিজেনবাহী রক্তরঙ্গক হিমোগ্লোবিনের অভাব।রক্তশূন্যতা অন্য রোগের সঙ্গে একটি উপসর্গ হতে পারে (যেমন ক্রনিক রেনাল ফেইলিওর অর্থাৎ দীর্ঘমেয়াদী বৃক্কীয় কার্যহীনতা), বা কখনো নিজেই একটি রোগ হতে পারে (যেমন অ্যাপ্লাস্টিক অ্যানিমিয়া অর্থাৎ সমস্ত রক্তকণিকা তৈরি হবার অভাব) বা যার কারণে অন্য রোগ হতে পারে (যেমন হার্ট ফেইলিওর)। কারণ রক্তশূণ্যতার অনেকগুলো কারণ থাকতে পারে।তার মধ্যে অন্যতমঃ পর্যাপ্ত পরিমাণ আয়রন এবং ভিটামিন বি১২ সমৃদ্ধ খাবার না খাওয়া। প্রদাহজনক পেটের রোগের (ক্রোনস ডিজিজ,সিলিয়াক ডিজিস) ক্যান্সার, কিডনিতে ব্যর্থতা, ডায়াবেটিস বা অন্য কোনও দীর্ঘস্থায়ী রোগ। শনাক্তকরণ চিকিৎসা রোগতত্ত্ব ইতিহাস তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:রক্তবিজ্ঞান বিষয়শ্রেণী:রোগের উপসর্গ এবং লক্ষণ
রক্তশূন্যতা
মঈনুল আহসান সাবের (জন্ম ২৬ মে ১৯৫৮) একজন বাংলাদেশি সাহিত্যিক। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাঁকে ২০১৯ সালে দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা একুশে পদকে ভূষিত করে। এছাড়াও তিনি বাংলা একাডেমি পদক লাভ করেছেন। উল্লেখ্য, তাঁর পিতা ছিলেন কবি আহসান হাবীব। শিক্ষা মাধ্যমিক: ল্যাবরেটরি হাই স্কুল, ঢাকা (১৯৭৩) উচ্চ মাধ্যমিক: ঢাকা কলেজ (১৯৭৫) স্নাতক সম্মান (সমাজবিজ্ঞান): ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (১৯৭৮) স্নাতকোত্তর (সমাজবিজ্ঞান): ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (১৯৭৯) পেশা কার্যনির্বাহী সম্পাদক: সাপ্তাহিক ২০০০, লেখালেখি। প্রকাশক: দিব্য প্রকাশ পুরস্কার বাপী শাহরিয়ার শিশুসাহিত্য পুরস্কার (১৯৯১) ফিলিপস পুরস্কার হুমায়ুন কাদির সাহিত্য পুরস্কার বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার (১৯৯৬) ভাষা ও সাহিত্যে একুশে পদক (২০১৯) কর্মতালিকা প্রকাশিত গ্রন্থ পরাস্ত সহিস (১৯৮২), অরক্ষিত জনপদ (১৯৮৩), স্বপ্নযাত্রা (১৯৮৪), আগমন সংবাদ (১৯৮৪), মামুলী ব্যাপার (১৯৮৪), চারদিক খোলা (১৯৮৫), একবার ফেরাও (১৯৮৫), আদমের জন্য অপেক্ষা (১৯৮৬), আগামী দিনের গল্প (১৯৮৭), পাথর সময় (১৯৮৯), এসব কিছুই না (১৯৮৯), লাল বাড়ির অদ্ভুত ভূত (১৯৮৯), ভিড়ের মানুষ (১৯৯০), এরকমই (১৯৯০), কেউ জানে না (১৯৯০), কোনো একদিন (১৯৯০), মানুষ যেখানে যায় না (১৯৯০), এক রাত (১৯৯০), চার তরুণ-তরুণী (১৯৯০), কয়েকজন অপরাধী (১৯৯০), পরাজয় (১৯৯০), লিলিপুটরা বড় হবে (১৯৯০), বাংলাদেশের ফুটবল তারকা (১৯৯০), সীমাবদ্ধ (১৯৯১), অচেনা জায়গায় (১৯৯১), কয়েকটি প্রেমপত্র (১৯৯১), সতের বছর পর (১৯৯১), এ এক জীবন (১৯৯১), অপরাজিতা (১৯৯১), ফেরা হয় না (১৯৯১), অগ্নিগিরি (১৯৯১), ধারাবাহিক কাহিনী (১৯৯২), অপেক্ষা (১৯৯২), কবেজ লেঠেল (১৯৯২), হারানো স্বপ্ন (১৯৯২), দুই বোন (১৯৯২), নীল খাম (১৯৯২), না (১৯৯২), সে তোমাকে পাবে না (১৯৯২), মুন্নী (১৯৯২), লজ্জা (১৯৯২), ভূতের থাকা না থাকা (১৯৯২), সুদূর (১৯৯৩), প্রেম ও প্রতিশোধ (১৯৯৩), স্বজন (১৯৯৩), তুমি আমাকে নিয়ে যাবে (১৯৯৩), মঈনুল আহসান সাবেরের প্রেমের গল্প (১৯৯৩), এক ঝলক আলো (১৯৯৪), দুপুর বেলা (১৯৯৫), মৌমাছি ও কাঠুরিয়া (১৯৯৬), তিন সাংবাদিক ভূত (১৯৯৭), মুক্তিযোগ্দধা আব্দুল মালেকের হাসি (১৯৯৭), সংসার যাপন (১৯৯৭), মৃদু নীল আলো (১৯৯৭), রেলস্টেশনে অজানা গল্প (১৯৯৮), জ্যোতির্ময়ী, তোমাকে বলি (১৯৯৮), যোগাযোগ (১৯৯৮), নির্বাচিত প্রেমের উপন্যাস (১৯৯৯), ঠাট্টা (১৯৯৯), অবসাদ ও আড়মোড়ার গল্প (১৯৯৯), ফিরে আসা (১৯৯৯), নির্বাচিত গল্প (১৯৯৯), ব্যক্তিগত (২০০০), বৃষ্টির দিন (২০০০), খুনের আগে ও পরে (২০০০), সবচেয়ে সুন্দর (২০০০), এটা আমার একার গল্প (২০০১), কেউ একত্রে অপেক্ষা করছে (২০০১), উপন্যাসসমগ্র (২০০১), কিশোর সমগ্র (২০০৩), ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ (২০০৩), আমাদের খনজনপুর (২০০৪), পরের ঘটনা (২০০৪), শরীরের গল্প (২০০৪), যে কেউ না, তার সঙ্গে (২০০৫), সুকুমারের লজ্জা (২০০৫), তিলকের গল্প (২০০৬), দূরের ঐ পাহাড়চূড়ায় (২০০৬), এই দেখা যায় বাংলাদেশ (২০০৬), ঋষি ও নারী (২০০৫), আখলাকের ফিরে আসা (২০১৪), কাফকা আসবে (২০১৯) । লেখা নিয়ে নির্মিত নাটক পাথর সময়, না প্রভৃতি নির্মিত চলচ্চিত্র লিলিপুটেরা বড় হবে তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:১৯৫৮-এ জন্ম বিষয়শ্রেণী:জীবিত ব্যক্তি বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশী সাহিত্যিক বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশী ঔপন্যাসিক বিষয়শ্রেণী:ভাষা ও সাহিত্যে একুশে পদক বিজয়ী বিষয়শ্রেণী:সামগ্রিক অবদানে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার বিজয়ী বিষয়শ্রেণী:বাংলা ভাষার বিজ্ঞান কল্পকাহিনী লেখক
মঈনুল আহসান সাবের
লারা দত্ত (, ; জন্ম এপ্রিল ১৬, ১৯৭৮, গাজিয়াবাদ, উত্তর প্রদেশ) একজন ভারতীয় মডেল ও চলচ্চিত্র অভিনেত্রী। তিনি ২০০০ সালে মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় জয় লাভ করেন। প্রাথমিক জীবন ভারতের উত্তর প্রদেশের গাজিয়াবাদ এলাকায় ভারতীয় পিতা এবং ব্রিটিশ-ভারতীয় বংশোদ্ভূত মায়ের গর্ভে লারা'র জন্ম। তার বাবা উইং কমান্ডার অবসরপ্রাপ্ত এল.কে. দত্ত এবং মা জেনিফার দত্ত। তার আরো দু'জন বড় বোন রয়েছে। একজন ভারতীয় বিমানবাহিনীতে কর্মরত। সুরকার এবং ডিস্কো জকি (ডিজে) নিতিন শাহানে তার রক্তসম্পর্কীয় বোন। ১৯৮১ সালে তার পরিবার ব্যাঙ্গালোর থেকে স্থানান্তরিত হয়। সেখানে তিনি সেন্ট ফ্রান্সিস জেভিয়ার গার্লস হাই স্কুল এবং ফ্রাঙ্ক এন্থনী পাবলিক স্কুলে পড়াশোনা করেন। মুম্বাই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতি বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করেন। ব্যক্তিগত জীবন লারা দত্ত ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সালে খ্রিস্টান পরিবারের সন্তান বিখ্যাত ভারতীয় টেনিস তারকা মহেশ ভূপতিকে মুম্বাইয়ের বান্দ্রায় বিয়ে করেন। এরপর খ্রিস্টীয় নিয়ম-নীতি অনুসারে ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সালে গোয়ার সানসেট পয়েন্টে বিবাহ-পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। ১ আগস্ট, ২০১১ সালে লারা দত্ত তার অন্তসত্ত্বার সংবাদ প্রকাশ করেন। ২০ জানুয়ারি, ২০১২ সালে সায়রা নাম্নী এক কন্যা সন্তান প্রসব করেন তিনি। ২০১০ সালে ভূপতি দম্পতি একটি চলচ্চিত্র নির্মাণকারী সংস্থা বিগ ডেডি প্রোডাকশন্স প্রতিষ্ঠা করেন। কর্মজীবন চলচ্চিত্র তালিকা মুমবাই সে আয়া মেরে দোস্ত (২০০৩) আন্তাজ (২০০৩) মাস্তি (২০০৪) আন্ (২০০৪) জাজ্মেন্ট (২০০৪) খাঁকি (২০০৪) জুর্ম (২০০৫) নো এন্ট্রি (২০০৫) কাল (২০০৫) ইন্সান (২০০৫) ইলান (২০০৫) এক আজনাবি (২০০৫) দোস্ত (২০০৫) জিন্দা (২০০৬) ফানাহ্ (২০০৬) ভাঘাম ভাগ (২০০৬) পার্টনার (২০০৭) ওম শান্তি ওম (২০০৭) ঝুম বারবার ঝুম (২০০৭) ব্লু (২০০৯) বিল্লু বারবার (২০০৯) হাউজফুল (২০১০) ডন টু (২০১১) চল দিল (২০১১) ডেভিড (২০১৩) ডেভিড-অন্য আরকটি (২০১৩) সিং ইজ ব্লাইং (২০১৫) ফিতর (২০১৬) আজহার (২০১৬) টেলিভিশন তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ Fansite Lara Dutta Zone বিষয়শ্রেণী:১৯৭৮-এ জন্ম বিষয়শ্রেণী:জীবিত ব্যক্তি বিষয়শ্রেণী:ভারতীয় নারী মডেল বিষয়শ্রেণী:ভারতীয় চলচ্চিত্র অভিনেত্রী বিষয়শ্রেণী:ভারতীয় কণ্ঠাভিনেত্রী বিষয়শ্রেণী:ভারতের সুন্দরী প্রতিযোগিতার প্রতিযোগী বিষয়শ্রেণী:হিন্দি চলচ্চিত্র অভিনেত্রী বিষয়শ্রেণী:তামিল চলচ্চিত্র অভিনেত্রী বিষয়শ্রেণী:ভারতীয় সুন্দরী প্রতিযোগিতায় বিজয়ী বিষয়শ্রেণী:মিস ইউনিভার্স ২০০০ প্রতিযোগী বিষয়শ্রেণী:মিস ইউনিভার্স বিজয়ী বিষয়শ্রেণী:ফেমিনা মিস ইন্ডিয়া বিজয়ী বিষয়শ্রেণী:মিস ইন্টারকন্টিনেন্টাল বিজয়ী বিষয়শ্রেণী:মুম্বই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী বিষয়শ্রেণী:বেঙ্গালুরুর নারী মডেল বিষয়শ্রেণী:বেঙ্গালুরুর অভিনেত্রী বিষয়শ্রেণী:পাঞ্জাবি ব্যক্তি বিষয়শ্রেণী:উত্তর প্রদেশের নারী মডেল বিষয়শ্রেণী:উত্তর প্রদেশের ব্যক্তিত্ব বিষয়শ্রেণী:ইংরেজ বংশোদ্ভূত ভারতীয় ব্যক্তি বিষয়শ্রেণী:জার্মান বংশোদ্ভূত ভারতীয় ব্যক্তি বিষয়শ্রেণী:সুয়েডিয় বংশোদ্ভূত ভারতীয় ব্যক্তি বিষয়শ্রেণী:স্কটল্যান্ডীয় বংশোদ্ভূত ভারতীয় ব্যক্তি বিষয়শ্রেণী:জার্মান বংশোদ্ভূত অভিনেত্রী বিষয়শ্রেণী:ভারতীয় রোমান ক্যাথলিক
লারা দত্ত
যকৃৎ () মেরুদণ্ডী ও অন্যান্য কিছু প্রাণীদেহে অবস্থিত একটি অভ্যন্তরীণ অঙ্গ। এটি বক্ষপিঞ্জরে মধ্যচ্ছদার নিচের অংশে অবস্থিত। একে চলতি বাংলায় কলিজা বলে সচরাচর উল্লেখ করা হয়। যকৃৎ দেহের বৃহত্তম গ্রন্থি। এর ওজন দেহের মোট ওজনের (৩-৫%)। এটি ২টি খণ্ডে বিভক্ত: ডান এবং বাম। প্রাণীদেহে বিপাকে ও অন্যান্য কিছু শারীরবৃত্তীয় কাজে যকৃত প্রধান ভূমিকা পালন করে। গ্লাইকোজেনের সঞ্চয়, প্লাজমা প্রোটিন সংশ্লেষণ, ঔষুধ বা অন্যান্য রাসায়নিক নির্বিষকরণে এর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। যকৃতে পিত্তরস উৎপন্ন হয়; পিত্তরস একধরনের ক্ষারীয় যৌগ যা পরিপাকে সহায়তা করে। বিশেষত স্নেহজাতীয় খাদ্যের ইমালসিফিকেশন এর জন্য পিত্তরস প্রয়োজন। এছাড়াও যকৃৎ দেহের আরও কিছু জৈব-রাসায়নিক প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে। কোষের ধরন দুই ধরনের কোষ দিয়ে যকৃৎ গঠিত যথা: প্যারেনকাইমাল এবং নন-প্যারেনকাইমাল। যকৃতের প্যারেনকাইমাল কোষকে হেপাটোসাইট বলে যা আয়তনের ৮০%। নন-প্যারেনকাইমাল কোষের মধ্যে রয়েছে হেপাটিক স্টিলেট কোষ, কাপফার কোষ এবং সাইনুসয়ডাল এন্ডোথেলিয়াল কোষ যা লিভার সাইনুসয়েড এর গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এরা সমস্ত কোষের ৪০% হলেও আয়তনের মাত্র ৬.৫%। রক্ত প্রবাহ যকৃৎ প্রধানত দুই পথে রক্ত সংবাহিত হয় যথা পোর্টাল শিরা এবং হেপাটিক ধমনী । শতকরা ৭৫ ভাগেরও বেশি রক্ত আসে পোর্টাল শিরা থেকে। অক্সিজেনের সরবরাহ দুই উৎস থেকেই নিশ্চিত হয়। সংশ্লেষণ এমিনো এসিড সংশ্লেষণ রক্ত তঞ্চন উপাদান সংশ্লেষণ পিত্ত সংশ্লেষণ ইউরিয়া সংশ্লেষণ যকৃতের কাজ যকৃত থেকে পিত্তরস নিঃসৃত হয় যা খাদ্য পরিপাকের, বিশেষ করে স্নেহজাতীয় খাদ্য পরিপাকের, একটি অতি প্রয়োজনীয় উপাদান৷ যকৃতে ইউরিয়া তৈরি হয়। এছাড়া যকৃতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ জৈব রাসায়নিক বিক্রিয়া সংঘটিত হয়৷ এজন্য যকৃতকে দেহের জৈব রসায়নাগার বলে৷ যকৃত গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি কাজের মধ্যে রয়েছে: যকৃতে পিত্তরস তৈরী হয় যা যকৃত থেকে নিঃসৃত হয়ে পিত্তথলিতে জমা থাকে। প্রয়োজনানুযায়ী অন্ত্রে পিত্তরসের সরবরাহ ঘটে। রক্তের অতিরিক্ত গ্লুকোজ যকৃতে গ্লাইকোজেন রূপে সঞ্চিত হয় ৷ প্রয়োজনে লাইকোজেন ভেঙ্গে রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা সঠিক রাখে ৷ যকৃত ভিটামিন (A,D,E,K,B6 ও B12) সঞ্চিত হয়৷ রক্তের প্লাজমা প্রোটিন যকৃতে সংশ্লেষিত হয়৷ যকৃতে লাল রক্তকণিকার হিমোগ্লোবিন ভেঙ্গে বিলিরুবিন ও বিলিভার্ডিন সৃষ্টি হয় ৷ যকৃতের রোগ যকৃতের ওজনের পাঁচ থেকে দশ ভাগের বেশি চর্বি দিয়ে পূরণ হলে যে রোগটি হয় তাকে ফ্যাটি লিভার বলে। পশ্চিমা বিশ্বে সাধারণত মদ্যপানের কারণে ফ্যাটি লিভার হয়ে থাকে। তবে বহুমূত্র, শর্করা জাতীয় খাদ্যের আধিক্য,রক্তে চর্বির আধিক্য, উচ্চ রক্তচাপ, স্থূলতা ইত্যাদি কারণে ফ্যাটি লিভার হয়। লিভারে জমা চর্বি অনেক সময় স্থানীয় প্রদাহ সৃষ্টি করে এবং এ প্রদাহ থেকে কিছুসংখ্যক রোগীর লিভার সিরোসিস, এমনকী কোনো কোনো ক্ষেত্রে লিভার ক্যান্সারও হতে পারে। প্রাথমিক অবস্থায় এই রোগের কোনো উপসর্গ থাকে না, অন্য রোগের পরীক্ষা করার সময় সাধারণত রোগটি ধরা পড়ে। কখনো কখনো পেটের উপরিভাগের ডানদিকে ব্যথা,অবসন্নতা, ক্ষুধামান্দ্য ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দিতে পারে। প্রতিস্থাপন প্রতি বছর সারা বিশ্বে এক লক্ষ মানুষ শুধুমাত্র লিভারের রোগে মারা যায়। তবে ‘রিজেনারেটিভ’ অঙ্গ হওয়ায় খুব সহজেই এটিকে প্রতিস্থাপন করে মানুষকে মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচানো সম্ভব। তথ্যসূত্র 3.জীববিজ্ঞান ২য় পত্র - গাজী আজমল (পৃষ্ঠা-৮১) বিষয়শ্রেণী:পরিপাকতন্ত্র বিষয়শ্রেণী:অঙ্গ বিষয়শ্রেণী:যকৃৎ
যকৃৎ
{{infobox royalty | name = ʿউসমান ইবন আফ্‌ফানعثمان بن عفان | succession = খুলাফায়ে রাশেদিন এর ৩য় খলিফা | predecessor = উমর ইবনুল খাত্তাব | successor = আলী ইবনে আবু তালিব | reign = ৬ নভেম্বর ৬৪৪ – ১৭ জুন ৬৫৬ | image = | caption = | title = দুই নূরের অধিকারী (জিন্নুরাইন) ()“আল-গনি” (উদার)আমির আল-মুমিনুন | full name = উসমান ইবন আফ্‌ফান | birth_date = ৫৭৬ খ্রিঃ (৪৭ হিজরি ) | birth_place = তায়েফ, আল আরব | death_date = ১৭ জুন ৬৫৬ খ্রিঃ(১৮ জিল্ -হাজ ৩৫ হিজরি)<ref name="Lisan Al-Mizan">{{বই উদ্ধৃতি|লেখক=Ibn Hajar al-Asqalani|লেখক-সংযোগ=Ibn Hajar al-Asqalani |শিরোনাম=Lisan Al-Mizan: *Uthman bin al-Affan}}</ref> (৭৯ বছর)Wilferd Madelung, The Succession to Muhammad: A Study of the Early Caliphate (Cambridge: Cambridge University Press, 1997), p. 135. | death_place = মদিনা, আল আরব, খুলাফায়ে রাশেদিন এর রাজত্বকালে | burial_place = জান্নাতুল বাকি, মদিনা | father =আফ্‌ফান ইবন আবি আল-আস্ | mother = আরওয়া বিনতু কুরাইজ | spouse = | house = কুুরাইশ (বনু উমাইয়া) | house-type = বংশ! }} উসমান ইবন আফ্‌ফান () (c. ৫৮০ - ১৭ জুন ৬৫৬) ছিলেন ইসলামের তৃতীয় খলিফা। ৬৪৪ থেকে ৬৫৬ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত খিলাফতে অধিষ্ঠিত ছিলেন। খলিফা হিসেবে তিনি চারজন খুলাফায়ে রাশিদুনের একজন। উসমান আস-সাবিকুনাল আওয়ালুনের (প্রথম পর্বে ইসলাম গ্রহণকারী) অন্তর্ভুক্ত। এছাড়াও তিনি আশারায়ে মুবাশ্‌শারা'র একজন এবং সেই ৬ জন সাহাবীর মধ্যে অন্যতম যাদের উপর মুহাম্মদ সন্তুষ্ট ছিলেন।। তাকে সাধারণত হযরত উসমান হিসেবে উল্লেখ করা হয়। তিনি ছিলেন ইসলামের তৃতীয় খলিফা। কুরাইশ গোত্রের বিশিষ্ট বংশ বনু উমাইয়ায় জন্মগ্রহণকারী। প্রথম দিকের ইসলামিক ইতিহাসে অন্যতম প্রধান ভূমিকা পালনকারী এবং তিনি কুরআনের আদর্শ সংস্করণ সংকলনের আদেশ দেওয়ার জন্য পরিচিত ছিলেন। উসমানের নেতৃত্বে ৬৫০ সালে ইসলামী সাম্রাজ্য ফার্স (বর্তমান ইরান) এবং ৬৫১ সালে খোরাসান (বর্তমান আফগানিস্তান) এর কয়েকটি অঞ্চলে প্রসারিত হয়েছিল। ৬৪০ এর দশকের মধ্যে আর্মেনিয়া বিজয় শুরু হয়েছিল। জীবনী জন্ম উসমানের জন্ম সন ও তারিখ নিয়ে বেশ মতপার্থক্য রয়েছে। অধিকাংশের মতে তার জন্ম ৫৭৬ খ্রিষ্টাব্দে অর্থাৎ হস্তীসনের ছয় বছর পর। এ হিসেবে তিনি মুহাম্মাদ এর চেয়ে বয়সে ছয় বছরের ছোট। অধিকাংশ বর্ণনামতেই তার জন্ম সৌদি আরবের মক্কা নগরীতে। অবশ্য অনেকের বর্ণনামতে তার জন্ম তায়েফ নগরীতে বলা হয়েছে। লিখেছেন : পরিবার ও বংশ উসমানের উপাধি জুন-নুরাইন এবং জুল-হিজরাতাইন। তার পিতা আফ্‌ফান এবং মাতা আরওয়া বিনতু কুরাইজ। তিনি কুরাইশ বংশের উমাইয়্যা শাখার সন্তান ছিলেন। তার ঊর্ধ্ব পুরুষ আবদে মান্নাফে গিয়ে মুহাম্মদের বংশের সাথে মিলিত হয়েছে। তার নানী বায়দা বিনতু আবদুল মুত্তালিব ছিলেন মুহাম্মদের ফুফু। সেই হিসাবে তিনি মুহাম্মদ এর ভাগ্নে। ইসলাম গ্রহণের পর মুহাম্মদ তার কন্যা রুকাইয়্যার সাথে তার বিয়ে দেন। হিজরি দ্বিতীয় সনে বদর যুদ্ধের পরপর মদিনায় রুকাইয়্যা মারা যায়। এরপর নবী তার দ্বিতীয় কন্যা উম্মু কুলসুমের সাথে তার বিয়ে দেন। এ কারণেই তিনি মুসলিমদের কাছে জুন-নুরাইন বা দুই জ্যোতির অধিকারী'' হিসেবে খ্যাত। তবে এ নিয়ে কিছু মতভেদ রয়েছে। যেমন ইমাম সুয়ুতি মনে করেন ইসলাম গ্রহণের পূর্বেই ওসমানের সাথে রুকাইয়্যার বিয়ে হয়েছিল। তবে অধিকাংশ ইতিহাসবেত্তা এই ধারণা পরিত্যাগ করেছেন। উসমান এবং রুকাইয়্যা ছিলেন প্রথম হিজরতকারী মুসলিম পরিবার। তারা প্রথম আবিসিনিয়ায় হিজরত করেছিলেন। সেখানে তাদের একটি ছেলে জন্ম নেয় যার নাম রাখা হয় আবদুল্লাহ ইবন উসমান। এরপর উসমানের কুনিয়া হয় ইবী আবদিল্লাহ। হিজরি ৪র্থ সনে আবদুল্লাহ মারা যায়। বদেরের যুদ্ধের পরপর রুকাইয়্যা মারা যান। এরপর উসমানের সাথে উম্মু কুলসুমের বিয়ে হয় যদিও তাদের ঘরে কোনো সন্তান আসে নি। হিজরি নবম সনে উম্মু কুলসুমও মারা যান।। প্রাথমিক জীবন অন্যান্য অনেক সাহাবীর মতোই ইসলাম গ্রহণের পূর্বে উসমানের জীবন সম্বন্ধে তেমন কিছু জানা যায় নি। উসমান কুরাইশ বংশের অন্যতম বিখ্যাত কোষ্ঠীবিদ্যা বিশারদ ছিলেন। কুরাইশদের প্রাচীন ইতিহাস সম্বন্ধে তার অগাধ জ্ঞান ছিল। ইসলাম গ্রহণের পূর্বেও তার এমন বিশেষ কোনো অভ্যাস ছিল না যা ইসলামী নীতিতে ঘৃণিত। যৌবনকালে তিনি অন্যান্য অভিজাত কুরাইশদের মতো ব্যবসায় শুরু করেন। ব্যবসায়ে তার সাফল্য ছিল উল্লেখযোগ্য। মক্কার সমাজে একজন ধনী ব্যবসায়ী ছিলেন বলেই তার উপাধি হয়েছিল গণি যার অর্ধ ধনী। লিখেছেন : মক্কায় থাকাকালীন অবস্থায় ইসলাম গ্রহণ ৬১১ সালে তিনি সিরিয়া থেকে বাণিজ্য করে ফিরে মুহাম্মদ ইসলাম প্রচার সম্পর্কে জানতে পারেন এবং আবু বকরের মাধ্যমে মুহাম্মদ এর নিকট ইসলাম গ্রহণ করেন। তিনি প্রথম দিকের ইসলাম গ্রহণকারীদের অন্যতম। হিজরতের পর মদীনায় থাকাকালীন অবস্থায় হজরত উসমান খুব লাজুক সভাবের ছিলেন নবী সঃ ভবিষ্যত বানি করেছিল যে উসমান আল্লাহ্ তোমাকে পোশাক পরাবে কিন্তু লোকেরা সেটা খোলার চেষ্টাকরবে। তুমি খুলবেনা। সেই পোশাকটির উদ্দেশ্য ছিলো খিলাফতের দায়িত্ব পাওয়া। অর্থনৈতিক ও সামাজিক প্রশাসন তিনি বায়তুল মাল থেকে জনগণকে দেওয়া ভাতা ২৫% বাড়িয়ে দেন যা উমারের সময় সবার জন্য নিদির্ষ্ট ছিল। বিজিত অঞ্চলের কৃষি জমি বিক্রির উপর উমারের নিষেধাজ্ঞা তুলে দিয়ে তিনি এর অনুমোদন প্রদান করেন। তার করা অর্থনৈতিক পুনঃগঠনের কারণে খিলাফাতের মুসলিম অমুসলিম সবাই অর্থনৈতিক সুফল ভোগ করতে পারতো। মৃত্যু ওসমান(রঃ)যেদিন খলিফা নির্বাচিত হন, সেদিন তিনি সর্বোত্তম ব্যক্তি ছিলেন। আর যখন তাকে হত্যা করা হয়, সেদিনও তিনি উত্তম ছিলেন। মুহাম্মদ(সাঃ)বলেছেন, "আল্লাহর হিকমত অনুসারে জিননুরাইনের ওপর মতানৈক্য দেখা দেবে এবং লোকেরা তাকে শহীদ করবে। অথচ তিনি তখন হকের ওপরই থাকবেন এবং তার বিরোধীরা থাকবে বাতিলের ওপর।" শেষ পর্যন্ত মিসর, বসরা ও কুফার বিদ্রোহী গোষ্ঠী একাট্টা হয়ে ৬৫৬ খ্রিস্টাব্দে মদিনায় সমবেত হয়ে খলিফার পদত্যাগ দাবি করে। হজ উপলক্ষে অধিকাংশ মদিনাবাসী মক্কা গমন করায় তারা এ সময়কেই মোক্ষম সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করে। খলিফা পদত্যাগে অস্বীকৃতি জানালে তারা হত্যার হুমকি দিয়ে তাকে অবরুদ্ধ করে রাখে। হযরত ওসমান (রঃ) রক্তপাতের সম্পূর্ণ বিরোধী ছিলেন। বিশাল মুসলিম জাহানের খলিফা হিসেবে মুষ্টিমেয় বিদ্রোহীর কঠোর শাস্তিদানের পরিবর্তে তিনি তাদের দ্বারা অবরুদ্ধ হয়ে থাকলেন। হযরত আলী(রঃ) তালহা ও জুবাইরের ছেলেদের দ্বারা গঠিত ১৮ নিরাপত্তারক্ষী বিপথগামী বিদ্রোহীদের মোকাবিলায় ব্যর্থ হন। অবশেষে তারা ৬৫৬ খ্রিস্টাব্দের ১৭ জুন হিজরি ৩৫ সনের ১৮ জিলহজ শুক্রবার আসরের নামাজের পর ৮২ বছর বয়স্ক বৃদ্ধ খলিফাকে অত্যন্ত বর্বরভাবে পবিত্র কোরআন পাঠরত অবস্থায় হত্যা করা হয় তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ মুসলিম ইতিহাসবিদদের দৃষ্টিভঙ্গী : ইতিহাসে উসমান শিয়া দৃষ্টিভঙ্গী : উসমানের নির্বাচন উসমান হত্যা উসমান ও আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ বিষয়শ্রেণী:খুলাফায়ে রাশেদিন বিষয়শ্রেণী:পুরুষ সাহাবা বিষয়শ্রেণী:৫৭৪-এ জন্ম বিষয়শ্রেণী:৬৫৬-এ মৃত্যু বিষয়শ্রেণী:৭ম-শতাব্দীর খলিফা বিষয়শ্রেণী:৭ম-শতাব্দীর আরব ব্যক্তিত্ব বিষয়শ্রেণী:মক্কার ব্যক্তি বিষয়শ্রেণী:কুরাইশ বিষয়শ্রেণী:আরব ব্যক্তি
উসমান ইবন আফফান
thumb|মানুষের চোখ thumb|300px|মানুষের চোখ চোখ প্রাণীর আলোক-সংবেদনশীল অঙ্গ ও দর্শনেন্দ্রীয়। প্রাণিজগতের সবচেয়ে সরল চোখ কেবল আলোর উপস্থিতি বা অনুপস্থিতির পার্থক্য করতে পারে। উন্নত প্রাণীদের অপেক্ষাকৃত জটিল গঠনের চোখগুলো দিয়ে আকৃতি ও বর্ণ পৃথক করা যায়। অনেক প্রাণীর (এদের মধ্যে মানুষ অন্যতম) দুই চোখ একই তলে অবস্থিত এবং একটি মাত্র ত্রিমাত্রিক "দৃশ্য" গঠন করে। আবার অনেক প্রাণীর দুই চোখ দুইটি ভিন্ন তলে অবস্থিত ও দুইটি পৃথক দৃশ্য তৈরি করে (যেমন - খরগোশের চোখ)। সংক্ষিপ্ত বিবরণ thumb|upright|left|ইউরোপিয়ান বাইসনের চোখ জটিল চোখ আকার এবং রং আলাদা করতে পারে। অনেক প্রাণীর চাক্ষুষ ক্ষেত্র, বিশেষ করে শিকারীর, গভীরতার উপলব্ধিকে উন্নত করার জন্য দুই চক্ষুর উপযোগী দৃষ্টিভঙ্গির বড় অংশগুলি অন্তর্ভুক্ত করে। অন্যান্য প্রাণীর মধ্যে, চোখগুলি এমনভাবে অবস্থিত থাকে যাতে ক্ষেত্রের সর্বাধিক পরিমাণ দেখা যায়, যাদের একক দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে, যেমন খরগোশ এবং ঘোড়া। ক্যামব্রিয়ান বিস্ফোরণের সময় প্রায় ৬০০ মিলিয়ন বছর আগে প্রাণীদের মধ্যে প্রথম আদি-চোখ অভিব্যক্ত হয়। পশুর শেষ সাধারণ পূর্বপুরুষদের দৃষ্টির জন্য প্রয়োজনীয় জৈবরাসায়নিক সরঞ্জামাদি ছিল এবং আরো উন্নত চোখ প্রধান পর্বের ~ 35 ছয়টির মধ্যে পশু প্রজাতির ৯৬% প্রবর্তিত হয়েছে। বেশিরভাগ মেরুদন্ডী এবং কিছু শামুক জাতীয় প্রাণীর মধ্যে, চোখ আলো প্রবেশ করতে দিয়ে, চোখের পিছনে একটি হালকা সংবেদনশীল প্যানেল যেটি রেটিনা হিসাবে পরিচিত তাতে, আলো নিক্ষেপ করে কাজ করে। কোন কোষগুলি (রঙের জন্য) এবং রড কোষ (অল্প আলোর কন্ট্রাস্টের জন্য) রেটিনাতে সনাক্ত করে এবং দর্শনের জন্য স্নায়ু সংকেতগুলিতে রূপান্তর করে। চাক্ষুষ সংকেত তারপর অপটিক স্নায়ু মাধ্যমে মস্তিষ্কে প্রেরিত হয়। বিশেষত এই ধরনের চোখ প্রায়শই গোলাকার হয়, একটি স্বচ্ছ জেল মত পদার্থ vitreous humor দ্বারা ভরাট হয়, একটি ফোকাসিং লেন্স এবং প্রায়ই একটি কনীনিকার সঙ্গে;কনীনিকা বা আইরিশের চারপাশের মাংসপেশীর শিথিল বা দৃঢ়তা চোখের পুতলি অথবা পিউপিলের আকার পরিবর্তন করে, যার ফলে চোখটিতে ঢুকে যাওয়া আলোর পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করা হয়, এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে আলো ছড়িয়ে পড়ে এবং অত্যধিক আলো কমিয়ে বিচ্যুতি নিয়ন্ত্রণ করে। সর্বাধিক জীবজন্তুর জাতিবিশেষ, মাছ, উভচর প্রাণী এবং সাপের চোখগুলি লেন্সের আকৃতিগুলি অপরিবর্তনীয়, এবং লেন্স দূরবীন তৈরি করে দৃষ্টি নিবদ্ধ করে দৃষ্টিগোচর হয় - একটি ক্যামেরা যেভাবে ফোকাস করে। যৌগিক চোখগুলি সন্ধিপদীদের মধ্যে পাওয়া যায় এবং অনেক সহজ উপায়ে গঠিত হয়, যা শারীরিক বিশ্লেষণের উপর ভিত্তি করে, একটি পিক্সেল্যাট ইমেজ বা একাধিক ইমেজ, প্রতি চোখ প্রতিস্থাপন করতে পারে। প্রতিটি সেন্সরের নিজস্ব লেন্স এবং আলোকসংবেদী কোষ রয়েছে। কিছু চোখ ২৮০০০ এর মতো সেন্সর আছে, যা ষড়্ভুজাকারভাবে সাজানো হয় এবং যা একটি পূর্ণ ৩৬০ ° দর্শনের ক্ষেত্র দিতে পারে। যৌগিক চোখ গতিতে অত্যন্ত সংবেদনশীল। বেশিরভাগ স্ট্রেপসিপেরার সহ কিছু আর্থপোড, মাত্র কয়েকটি দিকের যৌগিক চোখ, প্রতিটিতে একটি রেটিনা রয়েছে যা ছবি, দৃষ্টি তৈরি করতে সক্ষম। প্রতিটি চোখের একটি ভিন্ন জিনিস দেখার সঙ্গে, সমস্ত চোখ থেকে একটি জড়িত ইমেজ মস্তিষ্কের মধ্যে উত্পাদিত হয়, খুব ভিন্ন, উচ্চ-রেজল্যুশন ছবি তৈরি করে। অতিবর্নালীযুক্ত বর্ণের বিস্তারিত বিশ্লেষণে, মান্টিস চিংড়ি বিশ্বের সবচেয়ে জটিল রং দৃষ্টি ব্যবস্থার জন্য নথিভুক্ত করা হয়েছে। ট্রাইলোবাইট, যা এখন বিলুপ্ত, অনন্য যৌগিক চোখের অধিকারী। তারা তাদের চোখের লেন্স গঠন স্পষ্ট ক্যালসাইট স্ফটিক ব্যবহৃত। এগুলি, তারা অন্যান্য আর্থপোড, যা নরম চোখ আছে তাদের থেকে পৃথক। সেরকম একটি চক্ষুর লেন্সের সংখ্যা বিভিন্ন হয়, তবুও কিছু ট্রাইলোবাইটের একটিমাত্র ছিল, এবং কিছুদের এক চোখের মধ্যে হাজার হাজার লেন্স থাকত। মানুষের চোখের বিভিন্ন অংশসমূহ শ্বেতমন্ডল(sclera) এটা চোখের আচ্ছাদনকারী সাদা অংশ। এটা চোখে বহীরাবরকের পেছনের দিকের ৫/৬ অংশ স্থান জুড়ে অবস্থিত। এটা ও ভিতরের তরল পদার্থগুলো (অ্যাকুয়াস হিউমার ও ভিট্রিয়াস হিউমার) মিলে চোখের সূক্ষ্ম অংশগুলোকে রক্ষা করে। এটি সাদা ও অস্বচ্ছ এবং সাদা বর্ণের কোলাজেন তন্তু দ্বারা গঠিত যার ভিতরে আলো প্রবেশ করতে পারে না। কর্নিয়া (cornea) এটা গম্ভুজ আকারের স্বচ্ছ পর্দা যা চোখের সামনের অংশ ঢেকে রাখে। এটি চোখে বহীরাবরকের সামনের দিকের ১/৬ অংশ স্থান জুড়ে অবস্থিত। এটা স্বচ্ছ, কারণ এতে কোন রক্তজালিকা নেই। চোখ প্রতিস্থাপন (eye transplant) বলতে আসলে কর্নিয়ার প্রতিস্থাপন বুঝায়। অ্যাকুয়াস হিউমার (aqueous humor) এটা জলীয় পদার্থের মত তরল পদার্থ যা সিলিয়ারি বডি থেকে উৎপন্ন হয়। চোখের সামনের অংশ (লেন্স এবং কর্নিয়ার মধ্যবর্তী অংশ) এই তরলে পূর্ণ থাকে। আইরিশ এটা চেখের রঙিন অংশ যা অনেকটা আংটির মত। এটা বিভিন্ন রঙের হয়। যেমন- বাদামি, সবুজ, নীল ইত্যাদি। আলোর তীব্রতার উপর নির্ভর করে আইরিশ সংকোচিত বা প্রসারিত হয়। এতে পিউপিলের আকার পরিবর্তিত হয় এবং লেন্স ও রেটিনায় আপতিত আলোর পরিমাণ নিয়ন্ত্রিত হয়। পিউপিল (pupil) এটা হল আইরিশের মাঝের খোলা অংশ যেখান দিয়ে আলো লেন্সে প্রবেশ করে। এটার আকার আইরিশ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়।তারারন্ধ্রের মধ্য দিয়ে আলো চোখের ভিতরে প্রবেশ করে। লেন্স(শারীরবিদ্যা) (lens) অভিক্ষেপ রেটিনার উপর আলোক রশ্মি কেন্দ্রীভূত করে। এতে রক্ত সরবরাহ নেই। এর আকার সিলীয় পেশী দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়।এটি ক্রিস্টালাইন প্রোটিন দিয়ে তৈরি।এটা আইরিশের মাংসপেশি দ্বারা সঙ্কুচিত ও প্রসারিত হতে পারে। এর ফলে আমরা সহজেই কাছের ও দূরের জিনিস দেখতে পাই। (উল্লেখ্য যে কাছের জিনিস দেখতে আমাদের চোখের লেন্স প্রসারিত হয় এবং দূরের জিনিস দেখতে আমাদের চোখের লেন্স সঙ্কুচিত হয়।) ভিট্রেয়াস হিউমার (vitreous humor) এটা জেলির মত পদার্থ যা চোখের বেশিরভাগ অংশ পূর্ণ করে রাখে (লেন্সের পিছন থেকে রেটিনা পর্যন্ত)। কোরয়েড বা কৃষ্ম মণ্ডল (choroid) এই স্ক্লেরা ও রেটিনার মধ্যবর্তী রক্তবাহিকাসমৃদ্ধ ও মেলানিন রঞ্জকে রঞ্জিত স্তর। মেলানিন রঞ্জক থাকায় এটি কালো দেখায়।এটা রেটিনাতে রক্ত সরবরাহ করে এবং রেটিনা হতে আগত অতিরিক্ত আলো শোষণ করে নেয়। এর ভিতরে রয়েছে আইরিশ ও লেন্স। এটি একটি ঘন রন্জিত পদার্থের স্তর। রেটিনা (retina) এটা হল চোখের আলোক সংবেদী অংশ। এটা আলোকরশ্মিকে তড়িৎ সংকেতে (electrical signal) রূপান্তর করে দর্শন স্নায়ুর মাধ্যমে মস্তিষ্কে পাঠায়। রেটিনায় দুই ধরনের আলোকসংবেদী কোষ (photoreceptor) থাকে। এরা হল – রডকোষ (rod) এবং কোন্‌কোষ (cone)। রডকোষ আবছা/মৃদু আলোতে দেখতে সাহায্য করে, আর কোন্‌কোষ স্বভাবিক/উজ্জ্বল আলোতে দেখতে সাহায্য করে। কোন্‌কোষ থাকার জন্য আমরা বিভিন্ন রং চিনতে পারি এবং তাদের মধ্যে পার্থক্য করতে পারি। অর্থাৎ আমাদের রঙিন বস্তু দর্শনে কোন্‌কোষগুলো দায়ী। ফোবিয়া (fovea) রেটিনার মাঝামাঝি এবং অন্ধবিন্দুর কাছাকাছি একটি খাঁজ দেখা যায়। এটাই ফোবিয়া। এখানে প্রচুর কোন্‌কোষ থাকে কিন্তু কোন রডকোষ থাকে না। আমাদের দর্শনানুভূতির বেশিরভগই এর উপর নির্ভর করে। অন্ধবিন্দু (optic disk/ blind spot) এটি দর্শন স্নায়ুর প্রান্তবিন্দু। এখানে কোন আলোকসংবেদী কোষ (রড ও কোন্) থাকে না। দর্শন স্নায়ু (optic nerve) এটা মানুষের দ্বিতীয় করোটিক স্নায়ু (cranial nerve)। এর মাধ্যমে চোখ থেকে আলোকসংবেদ মস্তিষ্কে পৌছায়। তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:চোখ বিষয়শ্রেণী:অঙ্গ বিষয়শ্রেণী:ইন্দ্রিয়
চোখ
ফোভিয়া, যা ফোভিয়া সেন্ট্রালিস নামেও পরিচিত, চোখের একটি অংশ। ম্যাকুলার মাঝে রেটিনা অংশে এর অবস্থান। বইপড়া, গাড়ি চালনা করা, ইত্যাদি কাজে যে তীক্ষ্ণদৃষ্টির প্রয়োজন, সেসব কাজে ফোভিয়া ব্যবহৃত হয়। গঠন আকার ফোভিয়ার আকার রেটিনার বাকি অংশের তুলনায় খুবই অল্প। রেটিনার এই অংশে কেবল ২০/২০ দৃশ্য দেখা সম্ভব এবং এর মাধ্যমে দৃশ্যের পূর্ণ বর্ণনা ও রঙ চিহ্নিত করা যায়। বৈশিষ্ট Anatomical macula / macula lutea / area centralis (clinical: posterior pole): Diameter = 5.5mm (~3.5 disc-diameters) (about 18 deg of VF) অ্যানাটমিক্যাল ম্যাকুলা / ম্যাকুলা লুটেয়া / এরিয়া সেন্ট্রালিস: ব্যাস = ৫.৫ মিমি (~৩.৫ ডিস্ক-ব্যাস) আড়াআড়িভাবে ডিম্বাকৃতির অ্যানাটমিক্যাল পেরিফোভিয়া: ১২ কোন / ১০০ ইউএম অ্যানাটমিক্যাল প্যারাফোভিয়া: ব্যাস = ২.৫ মিমি অ্যানাটমিক্যাল ফোভিয়া / ফোভিয়া সেন্ট্রালিস: ব্যাস = ১.৫ মিমি (~১ ডিস্ক-ব্যাস) ফোভিয়াল অ্যাভাস্কুলার জোন (ফ্যাজ) ব্যাস = ০.৫ মিমি প্রায় ফোভিওলার সমান অ্যানাটমিক্যাল ফোভিওলা ব্যাস = ০.৩৫ মিমি ৫০ কোন / ১০০ ইউএম অ্যানাটমিক্যাল আম্বো ব্যাস = ০.১৫ মিমি অতিরিক্ত চিত্র তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:চোখ
ফোভিয়া
স্নায়ুভাষাবিজ্ঞান () নামক বিজ্ঞানের শাখায় কথ্য, প্রতীকী বা লিখিত ভাষার উৎপাদন, অনুধাবন ও ভাষা-সম্পর্কিত জ্ঞানের অন্তর্নিহিত মস্তিষ্ক প্রক্রিয়াগুলির (human brain mechanisms) আলোচনা করা হয়। এটি একটি আন্তঃশাস্ত্রীয় বিদ্যা; ভাষাবিজ্ঞান, বোধ বিজ্ঞান, স্নায়ুজীববিজ্ঞান ও কম্পিউটার বিজ্ঞানের মিলনস্থলে এর অবস্থান। স্নায়ুভাষাবিজ্ঞানীরা মনুষ্য ভাষার জন্য মস্তিষ্কের ব্রোকার অঞ্চলকে অপরিহার্য হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। ইতিহাস: নিউরোলিঙ্গুইস্টিক ঐতিহাসিকভাবে উনিশ শতকে aphasiology এর উন্নয়নের অংশ হিসাবে আবির্ভূত হয়েছিল । এটি মূলত ভাষাগত ঘাটতির (aphasias) কারণে মস্তিষ্কের যে ক্ষতি সাধিত হয় তার উদঘাটনের কারণ গবেষণা সংক্রান্ত বিদ্যা । Aphasiology ভাষা প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে মস্তিষ্কের আঘাতগুলির প্রভাব বিশ্লেষণ করে তার জন্য উপযুক্ত ট্রিটমেন্টের প্রচেষ্টা চালায় । ফরাসি সার্জন পল ব্রোকা ছিলেন প্রথম ব্যক্তি যিনি মস্তিষ্কের একটি নির্দিষ্ট এলাকার ভাষা প্রক্রিয়াজাতকরণের মাধ্যমে একটি সংযোগ স্থাপনের চেষ্টা করেছিলেন । তাছাড়া যাদের কথাবার্তা বলার জটিলতা আছে তাদের অটিজমগুলির উপর পরীক্ষা চালিয়েছিলেন । তা পরীক্ষায় দেখা যায় অধিকাংশ রোগীর মস্তিষ্কের সম্মুখের বাম লোবের উপর ক্ষতি হয়েছিল (বা ক্ষত ) ঐ এলাকা এখন ব্রোকা এর এলাকা হিসাবে পরিচিত । উনিশ শতকের প্রথমার্ধে Phrenologists রা বলেন যে মস্তিষ্কের ভিন্ন ভিন্ন অঞ্চলে ভিন্ন ভিন্ন কাজ সম্পাদিত হয় যার ভাষা মূলত মস্তিষ্কের সম্মুখবর্তী অঞ্চলগুলির দ্বারা পরিচালিত হয় । তবে ব্রোকার এর গবেষণা সম্ভবত এইরকম একটি সম্পর্কের জন্য অভিজ্ঞতাগত প্রমাণ প্রথম উপস্থাপন করেছিলেন , যাকে neurolinguistics and cognitive science এর ক্ষেত্রগুলিতে "epoch-making" এবং "pivotal" হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছিল। পরবর্তীতে, কার্ল ওয়ের্নিক এর নামে ঐ এলাকার নামকরণ করা হয় ওয়ের্নিক এলাকা । ঐখানে প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল যে, মস্তিষ্কের ভিন্ন ভিন্ন এলাকা ভিন্ন ভাষাগত কাজের জন্য বিশেষায়িত ছিল । ব্রোকার এর এলাকা কথা বলার জন্য যে শক্তির প্রয়োজন তা পরিচালনা করে এবং Wernicke এর এলাকা শ্রবণমূলক কথা বোঝার জন্য যা দরকার তা পরিচালনা করে। ব্রোকা ও ওয়ের্নিক মিলে aphasiology র যে ক্ষেত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন তার মাধ্যমে মস্তিষ্কের শারীরিক বৈশিষ্ট্যগুলো পরীক্ষা করে ভাষাটি অধ্যয়ন করা যেতে পারে। কোরবিনিয়ান ব্রডম্যানের বিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকের কাজগুলো থেকে aphasiology অনেক উপকৃত হয়েছিল লাভ । তিনিই প্রথম মস্তিষ্কের উপরের পৃষ্ঠের নকশা করেছিলেন । অধিকন্তু মস্তিষ্কের প্রতিটি এলাকার সাইয়োর্কিটেকচার (সেল গঠন) এবং কাজের উপর ভিত্তি করে কতগুলো অঞ্চলে বিভক্ত করেছিলেন । এই এলাকাসমূহ Brodmann এর অঞ্চল বা এলাকা হিসাবে পরিচিত যা আজও স্নায়ুবিজ্ঞানে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। ১৯৪০ও ১৯৫০-এর দশকের শেষের দিকে "neurolinguistics" এর ক্ষেত্র এডিথ ক্রোওয়েল ট্র্যাজার, হেনরি হেকজেন এবং অ্যালেক্সান্ডার লুরিয়া ভাল ভূমিকা রেখেছিলেন। লুরিয়া এর লিখিত বই "Problems in Neurolinguistics" সম্ভবত Neurolinguistics এর উপর লিখিত প্রথম বই। ১৯৭০ সালে হ্যারি হুইটেকার নিউরোলিঙ্গুইস্টিকে যুক্তরাষ্ট্রে জনপ্রিয় করে তুলেছিলেন যা ১৯৭৪ সালে "Brain and Language" পত্রিকাটির জন্ম দিয়েছিল। যদিও aphasiology কে neurolinguistics এর ঐতিহাসিক কোর হিসাবে বিবেচনা করা হয় । সাম্প্রতিক বছরগুলিতে neurolinguistics এর ক্ষেত্রটি ব্যাপকভাবে বিস্তৃত হয়েছে । মস্তিষ্কের ইমেজিং এর নতুন প্রযুক্তির উদ্ভাবন (যেমন PET এবং fMRI) এবং সময় সংবেদনশীল ইলেক্ট্রফিজিয়েলজিকাল কৌশল (EEG এবং MEG) এর কথা উল্যেখ করা যায় । মস্তিষ্ককে সক্রিয়করণের জন্য মানুষ যে বিভিন্ন ভাষার কাজে নিজেদের জড়িত করে থাকে তাদের প্যাটারন হাইলাইট করার কাজে ঐ প্রযুক্তিগুলি ব্যবহৃত হয়। ১৯৮০ সালে N400 আবিষ্কারের ফলে বিশেষ করে মস্তিষ্ককের ভাষা গবেষণা করার জন্য ইলেক্ট্রোফিজিওলজিক্যাল কৌশলগুলি কার্যকর পদ্ধতি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিল যা মস্তিষ্কের ভাষা বোঝার জন্য প্রতিক্রিয়া সংবেদনশীল বিষয় হিসাবে কাজ করতে দেখা যায়। N400 ছিল প্রথম ভাষা-প্রাসঙ্গিক প্রযুক্তি যার মাধ্যমে মস্তিষ্কের প্রতিক্রিয়া সহজেই সনাক্ত করা যায়। EEG এবং MEG মস্তিষ্ককের ভাষা গবেষণা পরিচালনা করার কাজে ক্রমবর্ধমানভাবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। স্নায়ুভাষাবিজ্ঞান এর উপ শাখা: ফোনেটিকস: এটি হল শব্দ কী করে কথায় রূপান্তরিত হয় তা অধ্যয়ন সংক্রান্ত বিদ্যা । অন্যদিকে কীভাবে মস্তিষ্ক একটি শব্দকে সংকেত থেকে আলাদা করে এবং কিভাবে মস্তিষ্ক শব্দকে পিছনের গোলমাল থেকে কথাকে আলাদা করে তাই হল স্নায়ুভাষাবিজ্ঞান এর আওতাভূক্ত । ফোনোলজি: এটি হল শব্দ কিভাবে ভাষায় রূপান্তরিত হয় তা অধ্যয়ন সংক্রান্ত বিদ্যা । অন্যদিকে শব্দবিদ্যা কীভাবে একটি নির্দিষ্ট ভাষাকে মস্তিষ্কে উপস্থাপন করে স্নায়ুভাষাবিজ্ঞান এর আওতাভূক্ত । মরফুলজি এবং লেক্সিকোলজি: শব্দগুলোকে কীভাবে মানসিক ল্যাঙ্কিকনের মধ্যে গঠন এবং সংরক্ষণ করা হয় তা অধ্যয়ন সংক্রান্ত বিদ্যা । অন্যদিকে মানুষ যা জানে সেগুলি কীভাবে মস্তিষ্কে সংরক্ষণ এবং ব্যবহার উপযোগী করা যায় ঐগুলো স্নায়ুভাষাবিজ্ঞান এর আওতাভূক্ত। সিনট্যাক্স: এটি হল কিভাবে একাধিক উচ্চারিত শব্দকে সংগঠিত করা যায় তা অধ্যয়ন সংক্রান্ত বিদ্যা । অন্যদিকে কীভাবে মস্তিষ্ক শব্দগুলিকে সংমিশ্রিত করে বাক্যে রূপান্তর করে এবং কিভাবে বাক্য বোঝার জন্য কাঠামোগত এবং শব্দার্থগত তথ্য ব্যবহার করা হয় তা স্নায়ুভাষাবিজ্ঞান এর আওতাভূক্ত । সিম্যানন্টিক্স: অর্থকে কীভাবে ভাষায় উন্মুক্ত করা হয় তা অধ্যয়ন সংক্রান্ত বিদ্যা । প্রযুক্তির ব্যবহার: Linguistic and Psycholinguistic models এর ব্যবহার সংক্রান্ত প্রযুক্তিটি নিউরোলিঙ্গুইস্টিকস গবেষণার জন্য অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক । আধুনিক মস্তিষ্কের ইমেজিং কৌশলগুলি ভাষাগত ক্রিয়াকলাপের সাংগঠনিক পরযায় গুলো বোঝার জন্য ব্যাপক অবদান রাখে। নিউরোলিঙ্গুইস্টিকস এ ব্যবহৃত মস্তিষ্কের ইমেজিং পদ্ধতিগুলিকে দুভাগে ভাগ করা যায় । যেমন, হেমোডাইনামিক পদ্ধতি এবং ইলেক্ট্রফিজিওলজিকাল পদ্ধতি । এই পদ্ধতি দুটি মূলত সরাসরি কর্টেক্সকে উদ্দীপিত করার মাধ্যমে কাজ সমাধা করে থাকে । হেমোডাইনামিক পদ্ধতিটি ঐ ধরনের সুবিধা গ্রহণ যখন মস্তিষ্কের একটি এলাকা কাজ করে, তখন সেই এলাকাতে অক্সিজেন সরবরাহ করা হয় (যা Blood Oxygen Level-Dependent বা BOLD হিসাবে পরিচিত)। এই কৌশলগুলি PET এবং fMRI এর অন্তর্ভুক্ত । এই কৌশলগুলি উচ্চ স্থানিক রেজোলিউশন প্রদান করে, যা মস্তিষ্কে এর প্রতিক্রিয়ার অবস্থানকে চিহ্নিত করার জন্য গবেষকদের অনুমতি দেয় । সাময়িক রেজোল্যুশন বা মস্তিষ্কের কার্যকলাপের সময় সম্পর্কে যে তথ্য তা একটু কার্যকর । অন্যদিকে, BOLD এর প্রতিক্রিয়া ভাষা প্রক্রিয়াকরণ থেকে অনেক ধীরে ধীরে ঘটে । অধিকন্তু, মস্তিষ্কের কোন অংশগুলি নির্দিষ্ট ভাষাগত বা গণনার করতে পারে তা তুলে ধরার পাশাপাশি হেমোডাইনামিক পদ্ধতিগুলি মস্তিষ্কের ভাষা স্থাপত্যের কাঠামোর গঠন এবং ভাষা-সম্পর্কিত সক্রিয়তা সময়ের সাথে সাথে কীভাবে পরিবর্তন হতে পারে তাও প্রদর্শন করা হয়। PET এবং fMRI ছাড়াও, যা মস্তিষ্কের নির্দিষ্ট কিছু এলাকা সক্রিয় হয়ে ওঠে, ঐ কাজ পর্যবেক্ষণ এর জন্য গবেষকরা diffusion tensor imaging (ডিটিআই) ব্যবহার করে থাকে, যা মস্তিষ্কের বিভিন্ন অংশগুলিকে সংযুক্ত করে নিউরাল পথ দেখায় । এভাবে Functional near-infrared spectroscopy (fNIRS) হল ভাষার কাজের জন্য ব্যবহৃত অন্য আরেকটি হেমোডাইনামিক পদ্ধতি । ইলেক্ট্রোফিজিওলজিক্যাল পদ্ধতিটি ঐ সুবিধা গ্রহণ করে যখন মস্তিষ্কের একগুচ্ছ নিউরন একত্রিত হয়ে তারা একটি বৈদ্যুতিক ডাইপোল বা কারেন্ট তৈরি করে। EEG পদ্ধতিটি বৈদ্যুতিক কারেন্ট মাপে স্ক্যাল্পের উপর সেন্সর ব্যবহার করে, যখন MEG পদ্ধতিটি কারেন্ট দ্বারা উৎপন্ন চৌম্বক ক্ষেত্রগুলিকে মাপে । তাছাড়া এই non-invasive পদ্ধতিগুলি ছাড়াও ভাষা প্রসেসিং অধ্যয়ন করার জন্য ইলেক্ট্রোকার্টোগ্রাফি ব্যবহার করা হয়েছে। এই কৌশলগুলি চমৎকার দীর্ঘস্থায়ী রেজোলিউশনের ব্যবহার করে এক মিলিসেকেন্ড এর মধ্যে মস্তিষ্কের কার্যকারিতা পরিমাপ করতে সক্ষম, যার মাধ্যমে দ্রুত ভাষা বোঝার এবং উৎপাদনের প্রক্রিয়াগুলি সম্পন্ন হয় । অন্যদিকে, মস্তিষ্কের কার্যকর অবস্থান চিহ্নিত করা কঠিন হতে পারে;ফলস্বরূপ, এই পদ্ধতিটি প্রাথমিকভাবে কীভাবে ভাষা প্রক্রিয়ার পদ্ধতিগুলি ব্যবহার করা হয়, EEG এবং MEG ব্যবহার করে ঘটনা সংক্রান্ত সম্ভাব্যতা যাচাই করা হয় যা ERP হিসাবে পরিচিত । তথ্যসূত্র Phillips, Colin; Kuniyoshi L. Sakai (2005). "Language and the brain" (PDF). Yearbook of Science and Technology. McGraw-Hill Publishers. pp. 166–169. ^ Jump up to: a b Wiśniewski, Kamil (12 August 2007). "Neurolinguistics". Język angielski online. Retrieved 31 January 2009. ^ Jump up to: a b Dronkers, N.F.; O. Plaisant; M.T. Iba-Zizen; E.A. Cabanis (2007). "Paul Broca's historic cases: high resolution MR imaging of the brains of Leborgne and Lelong". Brain. 130 (Pt 5): 1432–3, 1441. doi:10.1093/brain/awm042. PMID 17405763. Retrieved 25 January 2009. ^ Jump up to: a b Teter, Theresa (May 2000). "Pierre-Paul Broca". Muskingum College. Retrieved 25 January 2009. Jump up ^ "Pierre Paul Broca". Who Named It?. Retrieved 25 January 2009. Jump up ^ McCaffrey, Patrick (2008). "CMSD 620 Neuroanatomy of Speech, Swallowing and Language". Neuroscience on the Web. California State University, Chico. Retrieved 22 February 2009. Jump up ^ Garey, Laurence. "Brodmann's". Retrieved 22 February 2009. Jump up ^ Peng, F.C.C. (1985). "What is neurolinguistics?". Journal of Neurolinguistics. 1 (1): 7. doi:10.1016/S0911-6044(85)80003-8. Jump up ^ Brown, Colin M.; and Peter Hagoort (1999). "The cognitive neuroscience of language." in Brown & Hagoort, The Neurocognition of Language. p. 6. ^ Jump up to: a b Weisler (1999), p. 293. Jump up ^ Hagoort, Peter (2003). "How the brain solves the binding problem for language: a neurocomputational model of syntactic processing". NeuroImage. 20: S18–29. doi:10.1016/j.neuroimage.2003.09.013. PMID 14597293. ^ Jump up to: a b Hall, Christopher J (2005). An Introduction to Language and Linguistics. Continuum International Publishing Group. p. 274. . ^ Jump up to: a b Hagoort, Peter; Colin M. Brown; Lee Osterhout (1999). "The neurocognition of syntactic processing." in Brown & Hagoort. The Neurocognition of Language. p. 280. ^ Jump up to: a b Hagoort, Peter (2003). "How the brain solves the binding problem for language: a neurocomputational model of syntactic processing". NeuroImage. 20: S19–S20. doi:10.1016/j.neuroimage.2003.09.013. PMID 14597293. Jump up ^ Pylkkänen, Liina. "What is neurolinguistics?" (PDF). p. 2. Retrieved 31 January 2009. Jump up ^ See, for example, Friederici, Angela D. (2002). "Towards a neural basis of auditory sentence processing". TRENDS in Cognitive Sciences. 6 (2): 78. doi:10.1016/S1364-6613(00)01839-8., which discusses how three brain responses reflect three stages of Fodor and Frazier's model. Jump up ^ Weisler (1999), p. 280. Jump up ^ Hickock, Gregory; David Poeppel (2007). "Opinion: The cortical organization of speech processing". Nature Reviews Neuroscience. 8 (5): 393–402. doi:10.1038/nrn2113. PMID 17431404. ^ Jump up to: a b c Embick, David; Alec Marantz; Yasushi Miyashita; Wayne O'Neil; Kuniyoshi L. Sakai (2000). "A syntactic specialization for Broca's area". Proceedings of the National Academy of Sciences. 97 (11): 6150–6154. doi:10.1073/pnas.100098897. PMC 18573 Freely accessible. PMID 10811887. Jump up ^ Brown, Colin M.; and Peter Hagoort (1999). "The cognitive neuroscience of language." in Brown & Hagoort. The Neurocognition of Language. p. 7. ^ Jump up to: a b Wang Yue; Joan A. Sereno; Allard Jongman; and Joy Hirsch (2003). "fMRI evidence for cortical modification during learning of Mandarin lexical tone". Journal of Cognitive Neuroscience. 15 (7): 1019–1027. doi:10.1162/089892903770007407. PMID 14614812. ^ Jump up to: a b c Menn, Lise. "Neurolinguistics". Linguistic Society of America. Retrieved 18 December 2008. Jump up ^ "The Bilingual Brain". Brain Briefings. Society for Neuroscience. February 2008. Retrieved 1 February 2009. ^ Jump up to: a b Friederici, Angela D. (2002). "Towards a neural basis of auditory sentence processing". TRENDS in Cognitive Sciences. 6 (2): 78–84. doi:10.1016/S1364-6613(00)01839-8. Jump up ^ Caplan (1987), p. 11. ^ Jump up to: a b Caplan (1987), p. 12. ^ Jump up to: a b Sereno, Joan A; Yue Wang (2007). "Behavioral and cortical effects of learning a second language: The acquisition of tone". In Ocke-Schwen Bohn; Murray J. Munro. Language Experience in Second Language Speech Learning. Philadelphia: John Benjamins Publishing Company. Jump up ^ Ward, Jamie (2006). "The imaged brain". The Student's Guide to Cognitive Neuroscience. Psychology Press. . ^ Jump up to: a b c d Kutas, Marta; Kara D. Federmeier (2002). "Electrophysiology reveals memory use in language comprehension". TRENDS in Cognitive Sciences. 4 (12). Jump up ^ Filler AG, Tsuruda JS, Richards TL, Howe FA: Images, apparatus, algorithms and methods. GB 9216383, UK Patent Office, 1992. Jump up ^ Ansaldo, Ana Inés; Kahlaoui, Karima; Joanette, Yves (2011). "Functional near-infrared spectroscopy: Looking at the brain and language mystery from a different angle". Brain and Language. 121 (2, number 2): 77–8. doi:10.1016/j.bandl.2012.03.001. PMID 22445199. ^ Jump up to: a b Pylkkänen, Liina; Alec Marantz (2003). "Tracking the time course of word recognition with MEG". TRENDS in Cognitive Sciences. 7 (5): 187–189. doi:10.1016/S1364-6613(03)00092-5. Jump up ^ Van Petten, Cyma; Luka, Barbara (2006). "Neural localization of semantic context effects in electromagnetic and hemodynamic studies". Brain and Language. 97: 281. doi:10.1016/j.bandl.2005.11.003. Jump up ^ Coles, Michael G.H.; Michael D. Rugg (1996). "Event-related brain potentials: an introduction". Electrophysiology of Mind (PDF). Oxford Scholarship Online Monographs. pp. 1–27. . ^ Jump up to: a b c d Pulvermüller, Friedemann; Yury Shtyrov; Anna S. Hasting; Robert P. Carlyon (2008). "Syntax as a reflex: neurophysiological evidence for the early automaticity of syntactic processing". Brain and Language. 104 (3): 244–253. doi:10.1016/j.bandl.2007.05.002. PMID 17624417. ^ Jump up to: a b c Frisch, Stefan; Anja Hahne; Angela D. Friederici (2004). "Word category and verb–argument structure information in the dynamics of parsing". Cognition. 91 (3): 191–219 [194]. doi:10.1016/j.cognition.2003.09.009. PMID 15168895. Jump up ^ Kaan, Edith; Swaab, Tamara (2003). "Repair, revision, and complexity in syntactic analysis: an electrophysiological differentiation". Journal of Cognitive Neuroscience. 15 (1): 98–110. doi:10.1162/089892903321107855. PMID 12590846. Jump up ^ van Turrenout, Miranda; Hagoort, Peter; Brown, Colin M (1998). "Brain activity during speaking: from syntax to phonology in 40 milliseconds". Science. 280 (5363): 572–4. doi:10.1126/science.280.5363.572. PMID 9554845. Jump up ^ Grabowski, T., and Damasio, A." (2000). Investigating language with functional neuroimaging. San Diego, CA, US: Academic Press. 14, 425-461. ^ Jump up to: a b Pulvermüller, Friedemann; Yury Shtyrov (2003). "Automatic processing of grammar in the human brain as revealed by the mismatch negativity". NeuroImage. 20 (1): 159–172. doi:10.1016/S1053-8119(03)00261-1. PMID 14527578. ^ Jump up to: a b Phillips, Colin; T. Pellathy; A. Marantz; E. Yellin; K. Wexler; M. McGinnis; D. Poeppel; T. Roberts (2001). "Auditory cortex accesses phonological category: an MEG mismatch study". Journal of Cognitive Neuroscience. 12 (6): 1038–1055. doi:10.1162/08989290051137567. Jump up ^ Shtyrov, Yury; Olaf Hauk; Friedmann Pulvermüller (2004). "Distributed neuronal networks for encoding category-specific semantic information: the mismatch negativity to action words". European Journal of Neuroscience. 19 (4): 1083–1092. doi:10.1111/j.0953-816X.2004.03126.x. PMID 15009156. Jump up ^ Näätänen, Risto; Lehtokoski, Anne; Lennes, Mietta; Cheour, Marie; Huotilainen, Minna; Iivonen, Antti; Vainio, Martti; Alku, Paavo; et al. (1997). "Language-specific phoneme representations revealed by electric and magnetic brain responses". Nature. 385 (6615): 432–434. doi:10.1038/385432a0. PMID 9009189. Jump up ^ Kazanina, Nina; Colin Phillips; William Idsardi (2006). "The influence of meaning on the perception of speech sounds". Proceedings of the National Academy of Sciences of the United States of America. 103 (30): 11381–11386. doi:10.1073/pnas.0604821103. PMC 3020137 Freely accessible. PMID 16849423. Jump up ^ Hasing, Anna S.; Sonja A. Kotz; Angela D. Friederici (2007). "Setting the stage for automatic syntax processing: the mismatch negativity as an indicator of syntactic priming". Journal of Cognitive Neuroscience. 19 (3): 386–400. doi:10.1162/jocn.2007.19.3.386. PMID 17335388. Jump up ^ Example from Frisch et al. (2004: 195). Jump up ^ Kutas, M.; S.A. Hillyard (1980). "Reading senseless sentences: brain potentials reflect semantic incongruity". Science. 207 (4427): 203–205. doi:10.1126/science.7350657. PMID 7350657. Jump up ^ Osterhout, Lee; Phillip J. Holcomb (1992). "Event-related Potentials Elicited by Grammatical Anomalies". Psychophysiological Brain Research: 299–302. Jump up ^ Martín-Loeches, Manuel; Roland Nigbura; Pilar Casadoa; Annette Hohlfeldc; Werner Sommer (2006). "Semantics prevalence over syntax during sentence processing: a brain potential study of noun–adjective agreement in Spanish". Brain Research. 1093 (1): 178–189. doi:10.1016/j.brainres.2006.03.094. PMID 16678138. Jump up ^ Frisch, Stefan; Anja Hahne; Angela D. Friederici (2004). "Word category and verb–argument structure information in the dynamics of parsing". Cognition. 91 (3): 191–219 [195]. doi:10.1016/j.cognition.2003.09.009. PMID 15168895. ^ Jump up to: a b "Experiment Description: Lexical Decision and Semantic Priming". Athatbasca University. 27 June 2005. Retrieved 14 December 2008. ^ Jump up to: a b c Fiorentino, Robert; David Poeppel (2007). "Processing of compound words: an MEG study". Brain and Language. 103: 8–249. doi:10.1016/j.bandl.2007.07.009. ^ Jump up to: a b c d Friederici, Angela D.; Karsten Steinhauer; Stefan Frisch (1999). "Lexical integration: sequential effects of syntactic and semantic information". Memory & Cognition. 27 (3): 438–453. doi:10.3758/BF03211539. Jump up ^ Devlin, Joseph T.; Helen L. Jamison; Paul M. Matthews; Laura M. Gonnerman (2004). "Morphology and the internal structure of words". Proceedings of the National Academy of Sciences. 101 (41): 14984–14988. doi:10.1073/pnas.0403766101. PMC 522020 Freely accessible. PMID 15358857. Jump up ^ Zurif, E.B.; D. Swinney; P. Prather; J. Solomon; C. Bushell (1993). "An on-line analysis of syntactic processing in Broca's and Wernicke's aphasia". Brain and Language. 45 (3): 448–464. doi:10.1006/brln.1993.1054. PMID 8269334. Jump up ^ "Transcranial Magnetic Stimulation - Risks". Mayo Clinic. Retrieved 15 December 2008. ^ Jump up to: a b "Transcranial Magnetic Stimulation (TMS)". National Alliance on Mental Illness. Retrieved 15 December 2008. Jump up ^ A.R. Wyler; A.A. Ward, Jr (1981). "Neurons in human epileptic cortex. Response to direct cortical stimulation". Journal of Neurosurgery. 55 (6): 904–8. doi:10.3171/jns.1981.55.6.0904. PMID 7299464. Jump up ^ Hagoort, Peter (2005). "On Broca, brain, and binding: a new framework". TRENDS in Cognitive Sciences. 9 (9): 416–23. doi:10.1016/j.tics.2005.07.004. PMID 16054419. Jump up ^ One common exception to this is studies using the mismatch paradigm, in which subjects are often instructed to watch a silent movie or otherwise not pay attention actively to the stimuli. See, for example: Pulvermüller, Friedemann; Ramin Assadollahi (2007). "Grammar or serial order?: discrete combinatorial brain mechanicsms reflected by the syntactic mismatch negativity". Journal of Cognitive Neuroscience. 19 (6): 971–980. doi:10.1162/jocn.2007.19.6.971. PMID 17536967. Pulvermüller, Friedemann; Yury Shtyrov (2003). "Automatic processing of grammar in the human brain as revealed by the mismatch negativity". NeuroImage. 20 (1): 159–172. doi:10.1016/S1053-8119(03)00261-1. PMID 14527578. Jump up ^ Van Petten, Cyma (1993). "A comparison of lexical and sentence-level context effects in event-related potentials". Language and Cognitive Processes. 8 (4): 490–91. doi:10.1080/01690969308407586. ^ Jump up to: a b c Hahne, Anja; Angela D. Friederici (2002). "Differential task effects on semantic and syntactic processes as revealed by ERPs". Cognitive Brain Research. 13 (3): 339–356. doi:10.1016/S0926-6410(01)00127-6. Jump up ^ Zheng Ye; Yue-jia Luo; Angela D. Friederici; Xiaolin Zhou (2006). "Semantic and syntactic processing in Chinese sentence comprehension: evidence from event-related potentials". Brain Research. 1071 (1): 186–196. doi:10.1016/j.brainres.2005.11.085. PMID 16412999. ^ Jump up to: a b c Frisch, Stefan; Anja Hahne; Angela D. Friederici (2004). "Word category and verb–argument structure information in the dynamics of parsing". Cognition. 91 (3): 200–201. doi:10.1016/j.cognition.2003.09.009. PMID 15168895. Jump up ^ Osterhout, Lee (1997). "On the brain response to syntactic anomalies: manipulations of word position and word class reveal individual differences". Brain and Language. 59 (3): 494–522 [500]. doi:10.1006/brln.1997.1793. PMID 9299074. Jump up ^ Hagoort, Peter (2003). "Interplay between syntax and semantics during sentence comprehension: ERP effects of combining syntactic and semantic violations". Journal of Cognitive Neuroscience. 15 (6): 883–899. doi:10.1162/089892903322370807. PMID 14511541. Jump up ^ Gordon, Peter. "The Truth-Value Judgment Task". In D. McDaniel; C. McKee; H. Cairns. Methods for assessing children's syntax (PDF). Cambridge: MIT Press. p. 1. Jump up ^ Crain, Stephen, Luisa Meroni, and Utako Minai. "If Everybody Knows, then Every Child Knows." University of Maryland at College Park. Retrieved 14 December 2008. Jump up ^ Rogalsky, Corianne; William Matchin; Gregory Hickok (2008). "Broca's Area, Sentence Comprehension, and Working Memory: An fMRI Study". Frontiers in Human Neuroscience. 2: 14. doi:10.3389/neuro.09.014.2008. PMC 2572210 Freely accessible. PMID 18958214.
স্নায়ুভাষাবিজ্ঞান
বোগোতা (স্পেনীয় ভাষায়: Bogotá), বা সান্তা ফে দে বোগোতা (Santa Fe de Bogotá), মধ্য কলম্বিয়ার একটি শহর এবং দেশটির রাজধানী। এটি বোগোতা রাজধানী জেলায় অবস্থিত। শহরটি সমুদ্রতল থেকে প্রায় ২৬৪০ মিটার উঁচুতে আন্দেস পর্বতমালার পূর্ব কোর্দিয়েরা (Cordillera Oriental কোর্দ়িয়েরা ওরিয়েন্তাল্‌) পর্বতশ্রেণীর একটি পর্বতবেষ্টিত মালভূমির উপর অবস্থিত। শহরের জলবায়ু মৃদু; বাৎসরিক গড় তাপমাত্রা ১৪° সেলসিয়াস। শহরটির জনসংখ্যা ৬৫ লক্ষেরও বেশি। বোগোতা কলম্বিয়ার বৃহত্তম শহর এবং দক্ষিণ আমেরিকার সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল পৌর এলাকাগুলির একটি। বোগোতার আশেপাশে অবস্থিত প্রধান শহরতলীগুলির মধ্যে আছে বোসা, এঙ্গাতিবা, ফোন্তিবন, সুবা, উসাকেন এবং উসমে। এখানকার শিল্পগুলির মধ্যে আছে মুদ্রণ ও প্রকাশনা শিল্প, মোটরযান নির্মাণ শিল্প, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, এবং বস্ত্র, ধাতু, মেশিন, ও বৈদ্যুতিক যন্ত্রাদি নির্মাণ শিল্প। এই শহরে অনেক ব্যাংক ও কর্পোরেশনের সদর দপ্তর অবস্থিত। আন্তঃ-আমেরিকান মহাসড়ক এবং অন্যান্য রেলপথ ও মহাসড়ক শহরটিকে অন্যান্য বড় শহরের সাথে যুক্ত করেছে। শহরটির কাছেই এল দোরাদো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর অবস্থিত। বোগোতাকে কখনো কখনো "দক্ষিণ আমেরিকার আথেন্স" নামে ডাকা হয়। ১৮৬৭ সালে প্রতিষ্ঠিত কলম্বিয়ার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এবং আরও অনেক বিশ্ববিদ্যালয় এখানে অবস্থিত, ফলে বোগোতা কলম্বিয়ারতে শিক্ষার প্রধান কেন্দ্র। শহরের দর্শনীয় স্থানগুলির মধ্যে আছে বিখ্যাত স্বর্ণ যাদুঘর, যেখানে কলম্বাস-পূর্ব যুগের স্বর্ণশিল্পের সংগ্রহশালা আছে; জাতীয় যাদুঘর; ১৫৬৭ সালে নির্মিত সান ফ্রান্সিস্কো গির্জা; এবং প্রাচীন আদিবাসী আমেরিকান মন্দিরের স্থানে নির্মিত বোগোতার প্রথম গির্জা (১৫৬৫) ও জাতীয় ক্যাথিড্রাল। কাছের একটি পাহাড়ে আছে মোন্সেরাতের তীর্থালয়; এখান থেকে বোগোতার দৃশ্য বিখ্যাত। বোগোতা পৌর এলাকার বাইরে সিপাকিরাতে একটি অনন্য ভূগর্ভস্থ লবণ ক্যাথিড্রাল এবং বিখ্যাত তেকেনদামা জলপ্রপাতের কথা উল্লেখ করা যায়। স্পেনীয় কঙ্কিস্তাদোর গন্সালো হিমেনেস ১৫৩৮ সালে একটি জনবহুল চিবচা লোকালয় বাকাতা-র কাছে বোগোতা শহরের পত্তন করেন। শহরটি ১৭১৭ সালে নতুন গ্রানাডার উপরাজধানীতে পরিণত হয়। ১৮১৯ সালে সিমোন বলিভার এটি দখল করেন এবং তারপর এটি বৃহত্তর কলম্বিয়ার (বর্তমান কলম্বিয়া, ইকুয়েডর, পানামা, ও ভেনেজুয়েলা) রাজধানীতে পরিণত হয়। ১৮৩০ সালে বৃহত্তর কলম্বিয়ার পতনের পর এটি নতুন গ্রানাডার রাজধানী হয়। নতুন গ্রানাডার নাম পরে বদলে কলম্বিয়া রাখা হয়। ১৯৪০ সালের পর বহুসংখ্যক গ্রামীণ কলম্বীয় নাগরিক অর্থনৈতিক সুযোগের আশায় শহরটিরতে আগমন করতে শুরু করলে শহরটির দ্রুত সম্প্রসারণ ঘটে। তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ বিষয়শ্রেণী:কলম্বিয়ার শহর বিষয়শ্রেণী:দক্ষিণ আমেরিকার রাজধানী
বোগোতা
দি অ্যাড্‌ভেঞ্চার্স অফ অগি মার্চ () সল বেলো রচিত একটি ইংরেজি উপন্যাস যা ১৯৫৩ সালে প্রথম প্রকাশিত হয়। উপন্যাসটির মূল চরিত্র অগি মার্চ নামের এক বালক যে গ্রেট ডিপ্রেশন বা মহামন্দার সময় বেড়ে ওঠে। এই পিকারেস্ক উপন্যাসটি বিল্ডুংসরোমান-এর একটি দৃষ্টান্ত, যাতে বালক থেকে প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে ওঠার পথে একজন ব্যক্তির বিকাশ ধারাবাহিকভাবে সাক্ষাৎ, পেশা এবং সম্পর্কের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে। তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:ইংরেজি উপন্যাস বিষয়শ্রেণী:মডার্ন লাইব্রেরি প্রণীত বিংশ শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ ১০০টি ইংরেজি উপন্যাস
দি অ্যাড্‌ভেঞ্চার্স অব অগি মার্চ
ইল্‌-দ্য-ফ্রঁস (), আক্ষরিক অর্থে "ফ্রান্সের দ্বীপ", ফ্রান্সের একটি ঐতিহাসিক অঞ্চল এবং প্রাক্তন প্রদেশ। এটি ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসের চারপাশ ঘিরে অবস্থিত। মধ্যযুগে ইল-দ্য-ফ্রঁস এলাকাটি কাপে (Capet) পরিবারের জমিদারির একটি অংশ ছিল। ৯৮৭ সালে হিউ কাপে (Hugh Capet) ফ্রান্সের রাজা নির্বাচিত হলে কাপে পরিবার ফ্রান্সের রাজপরিবারে পরিণত হয়। ১৫শ শতক থেকে ১৮শ শতকের শেষভাগ পর্যন্ত ইল-দ্য-ফ্রঁস ফ্রান্সের একটি আলাদা প্রদেশ ছিল। ফরাসি বিপ্লবের পর এটিকে একাধিক প্রশাসনিক দেপার্ত্যমঁ-তে ভাগ করা হয়। ভারত মহাসাগরের মরিশাস দ্বীপটিকেও অতীতে ইল-দ্য-ফ্রঁস নামে ডাকা হত। তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ Econovista, The interactive economic map of Paris Region Regional Council of Île-de-France বিষয়শ্রেণী:ফ্রান্সের প্রশাসনিক অঞ্চলসমূহ
ইল্‌-দ্য-ফ্রঁস (অঞ্চল)
right|thumb|250px|আলেকজান্দ্রিয়ার বাতিঘরের কাল্পনিক বর্ণনা আলেকজান্দ্রিয়ার বাতিঘর (Lighthouse of Alexandria) খ্রিস্টপূর্ব ৩য় শতাব্দীতে মিশরের আলেকজান্দ্রিয়ায় তৈরি করা হয়। প্রথমে বন্দরের পরিচিতি চিহ্ন হিসেবে তৈরি করা হলেও পরবর্তীকালে এটী বাতিঘর হিসেবে কাজ করে। বাতিঘরের মূল ভিত্তিভূমির আয়তন ছিল ১১০ বর্গফুট। উচ্চতা ছিল ৪৫০ ফূট। মূল দেহের গোটা শরীরে একটা প্যাচানো সিড়ি ছিল। এই সিড়ি বেয়েই উঠতে হত। বাতিঘর তৈরির সময় ৪৫০ ফুট উচুতে যে বিশাল অগ্নিকুন্ড জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছিল, ধ্বংস হয়ে যাওয়ার পূর্বে সেটি আর কেউ নিভতে দেখেনি। ৫০ মাইল দূর থেকেও বাতিঘরটি দেখা যেত। ৯৫৬ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৩২৩ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত তিন বার ভূমিকম্পের শিকার হয়েছে বাতিঘরটি। ১৪'শ শতকে প্রবল ভূমিকম্পের ফলে বাতিঘরটি ভেঙ্গে পড়ে। তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:প্রাচীন সপ্তাশ্চর্য
আলেকজান্দ্রিয়ার বাতিঘর
লুভ্‌র জাদুঘর ( ল্য ম্যুজে দ্যু লুভ্‌র্‌) বিশ্বের বৃহত্তম শিল্পকলা জাদুঘর এবং ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসের একটি ঐতিহাসিক স্থাপনা। শহরের কেন্দ্রভাগের এই বিশিষ্ট স্থাপনাটি সেন নদীর ডান তীরে শহরের ১ম আরোঁদিসমঁ বা ওয়ার্ডে অবস্থিত। জাদুঘরটির প্রদর্শনস্থলের আয়তন প্রায় ৭২,৭৩৫ বর্গমিটার (প্রায় ৮ লক্ষ বর্গফুট) এবং এখানে প্রাগৈতিহাসিক যুগ থেকে ২১শ শতক পর্যন্ত সৃষ্ট প্রায় ৩৮ হাজার শিল্পবস্তু প্রদর্শন করা হয়। ২০১৯ সালের হিসাব অনুযায়ী লুভ্‌র জাদুঘর বিশ্বের সবচেয়ে বেশি পরিদর্শিত শিল্পকলা জাদুঘর; এ বছর এখানে প্রায় ৯ কোটি ৬ লক্ষ দর্শনার্থী ঘুরতে আসেন। ইতিহাস লুভ্‌র জাদুঘরটি লুভ্‌র প্রাসাদে অবস্থিত। ফ্রান্সের রাজা ২য় ফিলিপ প্রাসাদটিকে আদিতে ১২শ থেকে ১৩শ শতকে একটি দুর্গ হিসেবে নির্মাণ করেছিলেন। জাদুঘরের ভূনিম্নস্থ তলাতে এখনও এই দুর্গের অবশেষ দেখতে পাওয়া যায়। সময়ের সাথে সাথে প্যারিস নগরীর আয়তন বৃদ্ধি পেলে দুর্গটির প্রতিরক্ষামূলক সুবিধাটির দরকার ফুরিয়ে যায়। ১৫৪৬ সালে ফরাসি রাজা ১ম ফ্রঁসোয়া এটিকে ফরাসি রাজাদের মূল বাসভবনে রূপান্তরিত করেন। এর পরে বহুবার ভবনটির সম্প্রসারণ সাধন করা হয় যা ভবনটিকে এর বর্তমান রূপ দান করেছে। ১৬৮২ সালে ফ্রান্সের রাজা ১৬শ লুই তাঁর বাসভবন হিসেবে ভের্সাইয়ের প্রাসাদটিকে নির্বাচন করেন ও লুভ্র প্রাসাদ ত্যাগ করেন। এটিকে তখন রাজার রাজকীয় সংগ্রহশালার একটি প্রদর্শনীকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হত। এর মধ্যে প্রাচীন রোমান ও গ্রিক স্থাপত্যের একটি সংগ্রহ ছিল অন্যতম। ১৬৯২ সাল থেকে আরও প্রায় ১০০ বছর পর্যন্ত ফরাসি খোদাই লিপি ও শিল্প সমালোচনা আকাদেমি এবং ফরাসি চিত্রশিল্প ও ভাস্কর্য আকাদেমি এই ভবনটিকে তাদের কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করেন। ফরাসি বিপ্লবের সময় ফ্রান্সের জাতীয় সংসদে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে ফরাসি জাতির কাছে থাকা সর্বোৎকৃষ্ট শিল্পকর্মগুলি প্রদর্শনে লুভ্‌র-কে ব্যবহার করা হবে। ১৭৯৩ সালের ১০ই আগস্ট ৫৩৭টি চিত্রকর্মের একটি প্রদর্শনীর মাধ্যমে লুভ্‌র জাদুঘরটি উদ্বোধন করা হয়। এগুলি মূলত রাজা ও গির্জাসমূহের সংগ্রহ থেকে নেওয়া হয়েছিল। এরপর সম্রাট নাপোলেওঁ-র (নেপোলিয়ন) শাসনামলে যুদ্ধের সময় ফরাসি সেনাবাহিনী কর্তৃক বাজেয়াপ্ত শিল্পকর্ম দিয়ে জাদুঘরের সংগ্রহ আরও সমৃদ্ধশালী হয়, কিন্তু তাঁর মৃত্যুর পর সেগুলির বেশির ভাগই আবার মূল মালিকের কাছে ফেরত দেওয়া হয়। এরপর রাজা ১৮শ লুই ও ১০ম শার্লের সময়ে এবং ২য় ফরাসি সাম্রাজ্যের পর্বে জাদুঘরটির সংগ্রহে প্রায় ২০ হাজার শিল্পকর্ম যোগ করা হয়। এরপর থেকে ধারাবাহিকভাবে অনুদান ও অধিকৃতির মাধ্যমে জাদুঘরের সংগ্রহের আয়তন ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমানে লুভ্‌র জাদুঘরের সংগ্রহটি ৮টি বিভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। এগুলি হল প্রাচীন মিশরীয় শিল্পবস্তুসমূহ, নিকট প্রাচ্যের শিল্পবস্তুসমূহ, গ্রিক শিল্পকলা, এত্রুস্কান শিল্পকলা, রোমান শিল্পবস্তুসমূহ, ইসলামী শিল্পকলা, ভাস্কর্য, আলঙ্কারিক শিল্পকলা, চিত্রকর্মসমূহ, ছাপশিল্প ও অঙ্কন। চিত্রমালা তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ Virtual reality gallery with fullscreen panoramas of the Louvre The Louvre in 360° https://web.archive.org/web/20160417141451/http://theartnewspaper.com/reports/visitor-figures-2015/jeff-koons-is-the-toast-of-paris-and-bilbao/ Louvre; world's most- attended museum বিষয়শ্রেণী:প্যারিস বিষয়শ্রেণী:লুভ্‌র বিষয়শ্রেণী:স্থাপত্য
লুভ্‌র জাদুঘর
চিড়িয়াখানা সত্যজিৎ রায় পরিচালিত ১৯৬৭ খ্রিষ্টাব্দের একটি বাংলা চলচ্চিত্র। শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনপ্রিয় গোয়েন্দা চরিত্র ব্যোমকেশ বক্সী অবলম্বনে এই চলচ্চিত্র নির্মাণ করা হয়েছে। সিনেমায় ব্যোমকেশ বক্সীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন মহানায়ক উত্তম কুমার। শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের একই নামের উপন্যাস থেকেই এর কাহিনী নেয়া হয়। অভিনয়ে উত্তম কুমার - ব্যোমকেশ বক্সী চরিত্রে শৈলেন মুখোপাধ্যায় - অজিত বন্দ্যোপাধ্যায় চরিত্রে কালিপদ চক্রবর্তী - রসিকলাল চরিত্রে জহর গঙ্গোপাধ্যায় - রমেন মল্লিক চরিত্রে শুভেন্দু চট্টোপাধ্যায় - বিজয় চরিত্রে বঙ্কিম ঘোষ - ব্রজদাস চরিত্রে নৃপতি চট্টোপাধ্যায় - মুশকিল মিঞা চরিত্রে কণিকা মজুমদার - দময়ন্তী চরিত্রে শ্যামল ঘোষাল - ডাঃ ভুজঙ্গধর দাস চরিত্রে সঙ্গীত ছবির সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন সত্যজিৎ রায়, গানের কথা লিখেছেন তিনিই । তালিকা পুরস্কার তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ বিষয়শ্রেণী:সত্যজিৎ রায় পরিচালিত চলচ্চিত্র বিষয়শ্রেণী:বাংলা ভাষার চলচ্চিত্র বিষয়শ্রেণী:উত্তম কুমার অভিনীত চলচ্চিত্র বিষয়শ্রেণী:১৯৬৭-এর চলচ্চিত্র বিষয়শ্রেণী:ভারতীয় চলচ্চিত্র বিষয়শ্রেণী:সত্যজিৎ রায়ের চিত্রনাট্য সম্বলিত চলচ্চিত্র বিষয়শ্রেণী:১৯৬০-এর দশকের বাংলা ভাষার চলচ্চিত্র
চিড়িয়াখানা (চলচ্চিত্র)
আগন্তুক সত্যজিৎ রায় পরিচালিত একটি নাট্য চলচ্চিত্র যা ১৯৯১ সালে মুক্তি পায়। এটি সত্যজিতের শেষ চলচ্চিত্র। তারই লেখা ছোটগল্প অতিথি অবলম্বনে এটি তৈরি করেছেন। কাহিনী সংক্ষেপ কলকাতায় বসবাসরত একটি উচ্চ মধ্যবিত্ত পরিবার, বাবা সুধীন্দ্র বোস, মা অনীলা এবং একটি ছোট ছেলে। হঠাৎ একদিন অনীলার কাছে একটি চিঠি আসে, ৩৫ বছর আগে নিরুদ্দেশ হয়ে যাওয়া তার ছোট মামার কাছ থেকে। ৩৫ বছর পর তিনি ফিরে আসছেন, কিছুদিন কলকাতায় তাদের বাড়িতে থাকতে চান। ১৯৫৫ সালে মামা যখন দেশ ছাড়েন তখন অনীলার বয়স মাত্র ২ বছর, তাই এ নিয়ে তার কোন স্মৃতিই নেই। তাছাড়া বর্তমানে এই ছোট মামার রক্তের সম্পর্কের আত্মীয় বলতে একমাত্র সেই। সুতরাং তার পরিচয় নিয়ে নিশ্চিত হওয়ার কোনই উপায় নেই। স্বামী প্রচণ্ড সন্দেহপ্রবণ হয়ে ওঠে যা কিছুটা ভর করে স্ত্রীর উপরও। আর ছোট ছেলেটি শুরু থেকে সম্ভাব্য জাল দাদুর আগমনে রোমাঞ্চ অনুভব করতে থাকে। আগন্তুক মামা মনোমোহন মিত্র কলকাতায় পৌছানোর পরই কাহিনী শুরু হয়। চরিত্রসমূহ উৎপল দত্ত - মনোমোহন (মামা) দীপঙ্কর দে - সুধীন্দ্র বোস (স্বামী) মমতা শঙ্কর - অনীলা বোস (স্ত্রী) বহিঃসংযোগ আগন্তুক, রটেন টম্যাটোস বিষয়শ্রেণী:সত্যজিৎ রায় পরিচালিত চলচ্চিত্র বিষয়শ্রেণী:সত্যজিৎ রায়ের চিত্রনাট্য সম্বলিত চলচ্চিত্র বিষয়শ্রেণী:জাতীয় চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনের চলচ্চিত্র বিষয়শ্রেণী:সত্যজিৎ রায় সুরারোপিত চলচ্চিত্র বিষয়শ্রেণী:১৯৯০-এর দশকের বাংলা ভাষার চলচ্চিত্র
আগন্তুক
কৈলাসে কেলেংকারী, সত্যজিৎ রায় রচিত গোয়েন্দা কাহিনী ফেলুদা সিরিজের একটি উপন্যাস। কাহিনী সংক্ষেপ গোয়েন্দা ফেলুদা, তার ভাইপো তোপসে এবং লেখক জটায়ুর সাহায্যে ভারত জুড়ে প্রাচীন ভাস্কর্যের চোরাচালান এবং অবৈধ ব্যবসার তদন্ত করে। একটি যক্ষীর মস্তক যাকে কেন্দ্র করে খুন হন একজন। তদন্তে নামেন ফেলুদা ছাড়াও আরেকজন গোয়েন্দা। চলচ্চিত্রে রূপায়ণ ২০০৭ সালে এই গল্পের উপর ভিত্তি করে সন্দীপ রায় একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন, যেখানে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন সব্যসাচী চক্রবর্তী, বিপ্লব চট্টোপাধ্যায়, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, বিভূ ভট্টাচার্য। আরোও দেখুন ফেলুদার গোয়েন্দাগিরি এবার কান্ড কেদারনাথে গোলাপী মুক্তা রহস্য বহিঃসংযোগ তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:বই বিষয়শ্রেণী:সত্যজিৎ রায়ের রচনাবলী বিষয়শ্রেণী:ফেলুদা সিরিজ
কৈলাসে কেলেংকারী
লন্ডনে ফেলুদা, সত্যজিৎ রায় রচিত গোয়েন্দা কাহিনী ফেলুদা সিরিজের একটি বই। কাহিনী সংক্ষেপ দুই বন্ধু, একটি দুর্ঘটনা, একটি মৃত্যু, একজন মানুষের স্মৃতি হারানো আর ফেরার মাঝে কেটে যাওয়া চল্লিশেরও বেশি বছর, আর একটি তদন্ত – ফেলুদার আরেকটি প্রত্যাবর্তন, আর এবার শার্লক হোম্‌স এর শহরে। আরোও দেখুন তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:ফেলুদা সিরিজ
লন্ডনে ফেলুদা
জুহি চাওলা (জন্ম: ১৩ নভেম্বর ১৯৬৭) একজন ভারতীয় অভিনেত্রী, মডেল, চলচ্চিত্র প্রযোজক এবং ১৯৮৪ সালের মিস ইন্ডিয়া সৌন্দর্যের বিজয়ী। তিনি দুটি ফিল্মফেয়ার পুরস্কার সহ বিভিন্ন পুরস্কার পেয়েছেন। বাংলা , পাঞ্জাবী , মালয়ালাম , তামিল , কন্নড় এবং তেলেগু ভাষার ছায়াছবি ছাড়াও চওলা প্রধানত হিন্দি ভাষা চলচ্চিত্রে কাজ করেছেন। তিনি হিন্দি চলচ্চিত্রের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী, এবং তার কমেডিক টাইমিং এবং চিত্তাকর্ষক অন-স্ক্রীন ব্যক্তিত্বের জন্য তিনি বিশেষভাবে প্রশংসা লাভ করেছেন। সুলতানাত (১৯৮৬) চলচ্চিত্রের মাধ্যমে প্রথম অভিষেক করেন চাওলা এবং অত্যন্ত ব্যবসা সফল ট্র্যাজিক রোম্যান্স চলচিত্র কায়ামত সে কায়মাত তাক (১৯৮৮) এর মাধ্যমে তিনি ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেন, এই চলচিত্রে জন্য তিনি বছরের সেরা লাক্স নিউ ফেসের জন্য ফিল্মফেয়ার পুরস্কার লাভ করেন। অত্যন্ত জনপ্রিয় পারিবারিক ড্রামার চলচিত্র যেমন স্বরগ (১৯৯০), থ্রিলার ধরনের প্রাতিবাদ (১৯৯০), রোমান্টিক চলচিত্র বোল রাধা বোল (১৯৯২) এবং রোমান্টিক কমেডি রাজু বান গেয়া জেন্টলম্যান (১৯৯২) প্রভৃতির মাধ্যমে তিনি হিন্দি চলচ্চিত্রের শীর্ষস্থানীয় অভিনেত্রী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেন। এরপর তিনি ধারাবাহিকভাবে শীর্ষস্থানীয় চলচ্চিত্রগুলিতে অভিনয় করেন, যেমন অ্যাকশন থ্রিলার লুটেরে (১৯৯৩) তে মদের বারের নর্তকী হিসাবে, নিজের প্রেম বিসর্জনকারি নারী হিসাবে আশিনা (১৯৯৩) চলচ্চিত্রে, একজন দক্ষিণ ভারতীয় হিসাবে রোমান্টিক কমেডি হাম হেয় রহি পেয়ার কে (১৯৯৩), যার জন্য তিনি ফিল্মফেয়ার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী পুরস্কার পেয়েছিলেন এবং রোমান্টিক থ্রিলার চলচ্চিত্র ডর (১৯৯৩) তে একজন ক্ষতিগ্রস্থ নারী হিসাবে। এছাড়াও তিনি বক্স অফিসের সফলতা অর্জনকারী চলচ্চিত্র যেমন সাজান কে ঘার (১৯৯৪), নাওজায়াজ (১৯৯৫), রাম জানে (১৯৯৫), লোফার (১৯৯৬), মি। এবং মিসেস খিলাড়ী (১৯৯৭), দেওয়ানা মাস্তানা (১৯৯৭), ইয়েস বস (১৯৯৭), ইশক (১৯৯৭) এবং অর্জুন পন্ডিত (১৯৯৯) এর মত চলচ্চিত্রে শক্তিশালী ভূমিকা পালন করেছেন।। ২১ শতকে, চাওলা আর্ট হাউস প্রকল্পগুলিতে স্বাধীন চলচ্চিত্র নির্মাতাদের সাথে কাজ শুরু করেন, ঝঙ্কার বিটস (২০০৩), ৩ দিওয়ারিন (২০০৩), মাই ব্রাদার... নিখিল (২০০৫), বাস এক পাল (২০০৬), আই এম (২০১১), গুলাব গ্যাং (২০১৪) এবং চক এন ডাস্টার (২০১৬) ইত্যাদি কাজের জন্য সমালোচদের কাছ থেকে উচ্চ প্রশংসাধ্বনি অর্জন করেন। চলচ্চিত্রে অভিনয় ছাড়াও, চাওলা নৃত্যে রিয়েলিটি শো ঝালক দিখালা যাক এর তৃতীয় পর্বের একজন প্রতিভাবান বিচারক হিসেবে কাজ করেছেন। তিনি বিভিন্ন ধরনের স্ট্রেজ শো এবং কনসার্ট ট্যুরে অংশগ্রহণ করেছেন, এবং বিভিন্ন দাতব্য ক্রিয়াকলাপের সাথে জড়িত রয়েছেন। চাওলা ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগ ক্রিকেট দলের কোলকাতা নাইট রাইডার্সের সহ-মালিক। ১৯৯৫ সালে তিনি শিল্পপতি জে মেহতাকে বিয়ে করেন এবং তার দুটি সন্তান রয়েছে। প্রাথমিক জীবন এবং পটভূমি জুহি চাওলা জন্মগ্রহণ করেন ও বেড়ে উঠেন ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের, আম্বালাতে। তার বাবা ছিলেন ভারতীয় রাজস্ব পরিসেবা (আইআরএস) এর একজন কর্মকর্তা। তিনি মুম্বাইয়ের ফোর্ট কনভেন্ট স্কুল থেকে পড়াশোনা সম্পন্ন করেন, এবং মুম্বাইয়ের সিদানহ্যাম কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করেন। তিনি ১৯৮৪ সালের মিস ইন্ডিয়া শিরোপা বিজয়ী ছিলেন। তিনি ১৯৮৪ সালে মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় শ্রেষ্ঠ কস্টিউম পুরস্কার জিতেছিলেন। তিনি একজন সুদক্ষ নৃত্যশিল্পী। টক শো বাজে পায়েল -এ একটি সাক্ষাত্কারে তিনি উল্ল্যেখ করেছিলেন তিন বছর কত্থক শেখার কথা এবং আক্ষেপ প্রকাশ করেছিলেন এটি শেখা ছেড়ে দেয়াটা যা একজন অভিনেত্রী হিসেবে তার কর্মজীবনের সাহায্য করতে পারত। তিনি একটি সফল শাস্ত্রীয় গায়ক এবং গত ছয় বছর ধরে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। চলচ্চিত্র কর্মজীবন চলচ্চিত্র তালিকা সন অফ সরদার (২০১২) ওয়ান টু কা ফোর (২০০১) ফির ভি দিল হ্যায় হিন্দুস্তানি (২০০০) ইয়েস বস (১৯৯৭) রাম জানে (১৯৯৫) ডর (১৯৯৩) রাজু বান গেয়া জেন্টলম্যান (১৯৯২) কেয়ামত সে কেয়ামত তক (১৯৮৮) ১৯৯৬-১৯৮৮: ব্রেকথ্রু এবং সাফল্য চাওলা ১৯৮৬ সালে সুলতানাত চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলেন কিন্তু এটি বাণিজ্যিকভাবে ব্যর্থ ছবি হয়েছিল। এরপর তিনি ১৯৮৭ সালে কাজ করেন কান্নাডা ভাষার ক্লাসিক চলচ্চিত্র প্রমালোকাতে, যার পরিচালক ছিলেন রবিচন্দ্রন। মুক্তির পর এই চলচ্চিত্রটি ব্লকবাস্টার হয়ে উঠে এবং সমালোচক ও ভক্তাদের কাছে চাওলার অভিনয় দক্ষতা ব্যাপক ভাবে সাড়া ফেলে। তিনি দুটি ছবিতে মেগাস্টার প্রসেনজিত চ্যাটার্জির বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন। ১৯৮৮ সালে মুক্তি পাওয়া কেয়ামত সে কেয়ামত তাক ছিল বলিউডের তার কাজ করা প্রথম বড় ধরনের কাজে, যেখানে তিনি আমির খানের বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন। চলচ্চিত্রটি ছিল উইলিয়াম শেকসপিয়ারের রোমিও এন্ড জুলিয়েটের আধুনিক সংকরণ, যা ছিল একই সাথে সমালোচকদের কাছে এবং বাণিজ্যিকভাবে সাফল্য অর্জন করে। একজন চলচ্চিত্র সমালোচক লিখেছিলেন: "জুহি চাওলা ইতিমধ্যেই দেখিয়েছেন যে তিনি এখানে সফল হতে এসেছেন। তিনি শুধুমাত্র স্বাভাবিকভাবেই প্রাণবন্ত তাই নন একই সাথে তিনি বিস্ময়কর নিগূঢ়ভাবে "রেশমির" সরলতা, বাচ্চাদের পছন্দ করা এবং মানষিক দৃঢ়তা প্রদর্শন করেছেন চলচ্চিত্রটিতে। এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই যে এর ফলশ্রুতিতে, অন-স্ক্রিনে আমির ও জুহির রসায়ন সবার কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।" আরেকজন সমালোচক লিখেছিলেন, "যদিও অধিকাংশ লোক আমিরকে ক্রেডিট করে তবে এই চলচ্চিত্রটি জুহির কারণে আরও বেশি জনপ্রিয় ক্ল্যাসিক চলচ্চিত্র। জুহির চারুত্ব ও কারিশমা তাকে ভারতীয়দের কাছে ঠিক যেন "পাশের বাড়ির মেয়ে" এই ইমেজ হিসাবে তৈরি করেছে; তার অতি সাধারণ কিন্তু সুরুচিপূর্ণ স্যালোয়ার সুট কিংবা তার নির্দোষ হাসি যে কোন মানুষকে পাগল করে তলে। " এই চলচ্চিত্রটি ফিল্মফেয়ার শ্রেষ্ঠ মুভি অ্যাওয়ার্ড জিতেছিল, এবং এই চলচ্চিত্রের জন্য চাওলা ফিল্মফেয়ার পুরস্কার লাক্স শ্রেষ্ঠ নবাগত অভিনেত্রী পুরস্কার জিতেছিলেন এবং ফিল্মফেয়ার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী পুরস্কারের জন্য তার প্রথম মনোনীত হয়েছিলেন । চলচ্চিত্রটি তখন থেকে একটি বিশ্বাসের স্থান অর্জন করেছে, বিনোদন পোর্টাল বলিউড হাঙ্গামা মন্তব্য করেছে ভারতীয় চলচ্চিত্রের জন্য এটি ছিল একটি " নতুন পথসৃষ্টিকারী ও নতুন মোড় সৃষ্টিকারী চলচ্চিত্র"। ১৯৮৯-১৯৯৯: তারকাখ্যাতি ১৯৯০ সালে, তিনি প্রতিবাদ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলেন, যা বক্স অফিস সফল চলচ্চিত্র ছিল এবং সমালোচকরা তার অভিনয়ের উচ্ছসিত প্রশংসা করে বলেছিলেন: "চলচ্চিত্রটিতে জুহি চওলার বেশিরভাগ অংশের অভিনয় কেবল তার দুর্দান্ত অভিনয়ের জন্যই নজরকারে সবার। তিনি শান্তি চরিত্রটি সুনিপুনভাবে ফুতিয়ে তুলেছেন, যিনি একজন খেলনা বিক্রেতা, হুট করে নিজেকে একটি হত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছেন। " তিনি চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য ফিল্মফেয়ার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী পুরস্কার এর তার দ্বিতীয় মনোনয়ন পান । একই বছর পারিবারিক ড্রামার চিত্রনাট্যে নিয়ে সাজানো তার দ্বিতীয় চলচ্চিত্র "সোহাগ" মুক্তি পায়, যেখানে তার সাথে ছিলেন রাজেশ খান্না ও গোবিন্দ , যা ছিল ডেভিড ধাওয়ান ও গোবিন্দের তার করা বহু কাজের প্রারাম্ভ। চলচ্চিত্রটি ছিল ওই বছরের সর্বোচ্চ আয়কারী ছবি। ১৯৯২ সালে, তিনি ঋষি কাপুরের সাথে সুপারহিট চলচ্চিত্র বল রাধা বল'' চলচ্চিত্রে হাজির হন, যার জন্য তিনি তৃতীয়বারের মত ফিল্মফেয়ার সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন পান। একজন সমালোচক লিখেছিলেন "একজন যতটুকু কল্পনা করতে পারে জুহির ততটুক নিখুঁত ছিল। দক্ষতা সহ একটি সাধারণ গ্রাম্য মেয়ে হিসাবে তাকে দেখতে অত্যন্ত কমনীয় ছিল এবং এমন কি চলচ্চিত্রটির দ্বিতীয় অংশে তার চরিত্রের আবেদনময়ী অংশ ফুটিয়ে তোলা হলেও তার সুন্দর নির্দোষ কোমনীয়তা হারিয়ে যায় নি। ব্যক্তিগত জীবন থাম্ব|301x301পিক্সেল| তাজ ল্যান্ডস এন্ডে করণ জোহরের ৪০তম জন্মদিনের বর্ষে স্বামী জে মেহতার সঙ্গে চওলা জুহি চাওলা শিল্পপতি জয় মেহতার সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। এই দম্পতির দুই সন্তান রয়েছে: ২০০১ সালে জন্মগ্রহণকারী কন্যা জাহ্নবি এবং ২০০৩ সালে জন্মগ্রহণকারী পুত্র অর্জুন। এক সাক্ষাৎকারে জুহি প্রকাশ করেছেন যে, চলচ্চিত্রে যোগ দেওয়ার পরিবর্তে জাহ্নবি লেখক হতে চায়। জয় মেহতা এবং জুহি চাওলা শাহরুখ খানের সাথে অংশীদারত্বে তাদের কোম্পানির রেড চিলিজ এন্টারটেইনমেন্টের অধীনে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের দল কোলকাতা নাইট রাইডার্সের সহ-মালিক। তার ভাই ববি চওলা রেড চিলি এন্টারটেনমেন্টের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ছিলেন। ২০১০ সালে ডিনার পার্টির পরে তিনি ব্যাপক স্ট্রোকে আক্রান্ত হন। প্রায় চার বছর কোমায় থাকার পর ২০১৪ সালের ৯ই মার্চ তিনি জসলোক হাসপাতালে মারা যান। তার বোন সোনিয়া ২০১২ সালের ৩০ই অক্টোবর ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছিলেন। আরো দেখুন ভারতীয় চলচ্চিত্র অভিনেতাদের তালিকা তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ বিষয়শ্রেণী:১৯৬৭-এ জন্ম বিষয়শ্রেণী:২০শ শতাব্দীর ভারতীয় অভিনেত্রী বিষয়শ্রেণী:২১শ শতাব্দীর ভারতীয় অভিনেত্রী বিষয়শ্রেণী:জীবিত ব্যক্তি বিষয়শ্রেণী:পাঞ্জাবি ব্যক্তি বিষয়শ্রেণী:ফেমিনা মিস ইন্ডিয়া বিজয়ী বিষয়শ্রেণী:ভারতীয় চলচ্চিত্র অভিনেত্রী বিষয়শ্রেণী:ভারতীয় নারী টেলিভিশন উপস্থাপক বিষয়শ্রেণী:কন্নড় চলচ্চিত্র অভিনেত্রী বিষয়শ্রেণী:তামিল চলচ্চিত্র অভিনেত্রী বিষয়শ্রেণী:তেলুগু চলচ্চিত্র অভিনেত্রী বিষয়শ্রেণী:পাঞ্জাবি চলচ্চিত্র অভিনেত্রী বিষয়শ্রেণী:বাঙালি চলচ্চিত্র অভিনেত্রী বিষয়শ্রেণী:মালয়ালম চলচ্চিত্র অভিনেত্রী বিষয়শ্রেণী:হিন্দি চলচ্চিত্র অভিনেত্রী বিষয়শ্রেণী:হিন্দি চলচ্চিত্র প্রযোজক বিষয়শ্রেণী:মুম্বইয়ের অভিনেত্রী বিষয়শ্রেণী:শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার বিজয়ী বিষয়শ্রেণী:শ্রেষ্ঠ নবাগত অভিনেত্রী বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার বিজয়ী বিষয়শ্রেণী:শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে স্ক্রিন পুরস্কার বিজয়ী বিষয়শ্রেণী:ভারতীয় নারী চলচ্চিত্র প্রযোজক বিষয়শ্রেণী:ভারতীয় কণ্ঠাভিনেত্রী
জুহি চাওলা
নাগিব মাহফুজ() (জন্ম: ডিসেম্বর ১১, ১৯১১ - মৃত্যু: আগস্ট ৩০, ২০০৬) নোবেল বিজয়ী মিশরীয় সাহিত্যিক। নাগিব মাহফুজ ১৭ বছর বয়স থেকে লেখালেখি শুরু করেন। ১৯৩৯ সালে তার প্রথম উপন্যাস প্রকাশিত হয়। জীবদ্দশায় ৩০টি উপন্যাস লিখেলও ১৯৫৫ থেকে ১৯৫৭ সালের মধ্যে প্রকাশিত কায়রো ট্রিলজি তাকে আরব সাহিত্যের এক অনন্য উচ্চতায় তুলে ধরেন। এতে তিনি ইংরেজ শাসন থেকেমুক্ত হওয়ার সময়কালে মিশরের ঐতিহ্যবাহী শহুরে জীবনধারা ফুটিয়ে তোলেন । এ উপন্যাসের স্বীকৃতি স্বরূপ তিনি ১৯৮৮ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পান। নাগিব মাহফুজের উপন্যাসের প্রায় অর্ধেকেরও বেশীর চলচ্চিত্রায়ন হয়েছে। উপন্যাসের পাশাপাশি তিনি ১০০ টিরও বেশি ছোটগল্প রচনা করেছেন। এগুলির বেশীর ভাগই পরে ইংরেজিতে অনুদিত হয়েছে। প্রাথমিক জীবন ও শিক্ষা নাগিব মাহফুজ মধ্যবিত্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পরিবার কঠোর ইসলামি অনুশাসন মেনে চলত। তিঁনি একজন লেখক হবেন তা কল্পনাতেও ভাবেন নি।" মাত্র সাত বছর বয়সে তিনি মিশরীয় বিপ্লবে ১৯১৯ অংশ গ্রহণ করেন। তার উপর একটি বড় প্রভাব পরে। ব্রিটিশ সৈন্যদের তিনি খুব কাছ থেকে প্রায়ই বিক্ষোভকারী ঈমানদার নারী ও পুরুষদের উপর অগ্নিসংযোগ করতে দেখেন। তার প্রথম দিকের বছর গুলোতে, মাহফুজ নিষ্পাপ নিষ্কলঙ্ক ও হাফিজ নাজিব দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিলেন। তার মাধ্যমিক পরীক্ষার পরে, তিনি দর্শন বিভাগে ১৯৩০ সালে ভর্তি হন মিশরীয় বিশ্ববিদ্যালয় (বর্তমানে কায়রো বিশ্ববিদ্যালয়)। ১৯৩৪ সালে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। এর পর ১৯৩৬ সালে দর্শনের গবেষণা কাজে একটি বছর অতিবাহিত করেন। পরে তিনি গবেষণা পরিত্যাগ করেন এবং একটি পেশাদার লেখক হয়ে যান। মাহফুজ তারপর আল-রিসালায়ের জন্য একজন সাংবাদিক হিসেবে কাজ করেন, এবং এল-হিলাল এবং আল-আহরাম ছোটোগল্প লিখতে অবদান রাখেন। তথ্য সূত্রঃ ইংরেজি উইকিপিডিয়া দৈনিক প্রথম আলো ৩১ আগস্ট ২০০৬: বর্ষ ৮, সংখ্যা ২৯১ বিষয়শ্রেণী:সাহিত্যিকদের জীবনী বিষয়শ্রেণী:মিশরীয় সাহিত্যিক বিষয়শ্রেণী:আফ্রিকান সাহিত্যিক বিষয়শ্রেণী:নোবেল বিজয়ী সাহিত্যিক বিষয়শ্রেণী:১৯১১-এ জন্ম বিষয়শ্রেণী:২০০৬-এ মৃত্যু
নাগিব মাহফুজ
ফুলবাড়িয়া বাংলাদেশের ময়মনসিংহ জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা। ইতিহাস ঐতিহাসিকদের মতে প্রাচীনকালে ফুলবাড়ীয়ায় ফুলখড়ি এক ধরনের লাকড়ী জাতীয় গাছ জন্মাত। যা অত্র এলাকার মানুষ লাকড়ী হিসাবে ব্যবহার করত। ফুলবাড়ীয়ার পূর্ব নাম ছিল গোবিন্দগঞ্জ। ধারণা করা হয়ে থাকে ফুলখড়ি থেকেই ফুলবাড়ীয়া নামের উৎপত্তি হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধে অবদান ফুলবাড়িয়া মুক্তদিবস হল ৮ ডিসেম্বর। এ অঞ্চল মুক্তিযুদ্ধের সময় ১১ নাম্বার সেক্টরের অধীনে ছিল। ১৩ জুন সংঘটিত হওয়া লক্ষীপুর যুদ্ধ ফুলবাড়িয়ার মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে বিশেষভাবে স্মরণীয়। এতে শেখ মোজাফফর আলী এবং বাবু মান্নানের নেতৃত্বে এক প্লাটুন মুক্তিযুদ্ধা অংশ নেন। নিজেদের কোন রকম ক্ষয়ক্ষতি ছাড়াই ২৭ জন পাকসেনাকে খতম করা হয়। এছাড়াও ফুলবাড়িয়াতে সংঘটিত হওয়া উল্লেখযোগ্য যুদ্ধের মধ্যে রয়েছে রাঙ্গামাটিয়া যুদ্ধ (১৭ জুন), আছিম যুদ্ধ (১৩ নভেম্বর), কেশরগঞ্জ যুদ্ধ ইত্যাদি। ভূগোল ময়মনসিংহ জেলা সদর থেকে ২০ কিলমিটার দূরত্বে ফুলবাড়িয়া উপজেলার অবস্থান। ফুলবাড়ীয়া উপজেলার উত্তরে ময়মনসিংহ সদর; দক্ষিণে ভালুকা ও টাংগাইল জেলার ঘাটাইল উপজেলা, পূর্বে ত্রিশাল, পশ্চিমে মুক্তাগাছা ও টাংগাইল জেলার মধুপুর উপজেলা অবস্থিত। প্রতিষ্ঠাকাল ১৮৬৪ সালে প্রশাসনিকভাবে ফুলবাড়িয়া থানা প্রতিষ্ঠিত হয়। কিন্তু কিছু জটিলতার কারণে থানার সীমানা নির্ধারণ হয় ১৮৬৭ সালে। ১৯৮৩ সালের ০২ জুলাই ফুলবাড়িয়া উপজেলা পরিষদ প্রতিষ্ঠিত হয়। ফুলবাড়িয়া উপজেলার আয়তন ৩৯৯ বর্গ কিলোমিটার। প্রশাসনিক এলাকা ফুলবাড়িয়া উপজেলায় বর্তমানে ১টি পৌরসভা ও ১৩টি ইউনিয়ন রয়েছে। সম্পূর্ণ উপজেলার প্রশাসনিক কার্যক্রম ফুলবাড়িয়া থানার আওতাধীন। পৌরসভা: ফুলবাড়িয়া ইউনিয়নসমূহ: ১নং নাওগাঁও ২নং পুটিজানা ৩নং কুশমাইল ৪নং বালিয়ান ৫নং দেওখোলা ৬নং ফুলবাড়িয়া ৭নং বাক্তা ৮নং রাঙ্গামাটিয়া ৯নং এনায়েতপুর ১০নং কালাদহ ১১নং রাধাকানাই ১২নং আছিম পাটুলী ১৩নং ভবানীপুর শিক্ষা শিক্ষা সংক্রান্ত সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়→১০৬ টি বে-সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়→৮২ টি (বর্তমানে গেজেট ভূক্ত) কমিউনিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়→০৩ টি জুনিয়র উচ্চ বিদ্যালয়→০৬টি উচ্চ বিদ্যালয়→৫৩টি উচ্চ বিদ্যালয়(বালিকা)→০৬টি দাখিল মাদ্রাসা→৪৫টি আলিম মাদ্রাসা→০১টি ফাজিল মাদ্রাসা→০৭টি কলেজ→০৭টি কলেজ(বালিকা)→০৩টি উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: ফুলবাড়ীয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, শেখ ফজিলাতুন্নেছা সরকারী মহিলা কলেজ, তেলীগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়, আছিম শাহাবুদ্দীন ডিগ্রী কলেজ, ফুলবাড়ীয়া মহিলা কলেজ, কেশরগঞ্জ মহাবিদ্যালয়, ফুলবাড়ীয়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়,শিবরামপুর উচ্চ বিদ্যালয়, বরুকা উচ্চ বিদ্যাল, আছিম বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়, আছিম আইডিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়, কান্দানিয়া উচ্চ বিদ্যালয়, পলাশীহাটা উচ্চ বিদ্যালয়, হরেকৃষ্ণ উচ্চ বিদ্যালয়, মোহাম্মদনগর উচ্চ বিদ্যালয়, রাধাকানাই উচ্চ বিদ্যালয়, ফুলবাড়ীয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আছিম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কান্দানিয়া বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,কাকড়ার চালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, লক্ষ্মীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, লোহাশহর বাজার উচ্চ বিদ্যালয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মাধ্যমিক বিদ্যালয় ০১) তেলীগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয় ০২) সরকারী মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় ০৩) ফুলবাড়িয়া পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ০৪) আলহেরা একাডেমি (উচ্চ বিদ্যালয়) ০৫) ফুলবাড়িয়া শহিদ স্মৃতি স্কুল & কলেজ ০৬) ফুলবাড়িয়া ল্যাবরেটরি স্কুল ০৭) মোহাম্মদ নগর উচ্চ বিদ্যালয়। ০৮) ইন্জিনিয়ার শামছউদ্দিন আহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়। ০৯) আছিম বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় ১০) আছিম আইডিয়াল উচ্চ বিদ্যালয় ১১) আর্দশ উচ্চ বিদ্যানিকেতন ১২) কান্দানিয়া উচ্চ বিদ্যালয় ১৩) রাধাকানাই উচ্চ বিদ্যালয় ১৪) ভবানীপুর উচ্চ বিদ্যালয় ১৫) রোকন‌উদ্দীন গার্লস স্কুল ১৬) থানার পাড় উচ্চ বিদ্যালয় ১৭) হরেকৃষ্ণ ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয় ১৮) হাতিলেইট উচ্চ বিদ্যালয় ১৯) পলাশীহাটা বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ। 20)কাহালগাঁও দোলমা উচ্চ বিদ্যালয়। দাখিল মাদ্রাসা ০১) আছিম তালিমুলমিল্লাত দাখিল মাদ্রাসা ০২) কচুয়ারমোড় ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা ০৩) পাটুলি দাখিল মাদ্রাসা ০৪) কুশমাইল জলিলীয়া দাখিল মাদ্রাসা ০৫)দারুস সুন্নাহ দাখিল মাদ্রাসা, লক্ষীপুর। উচ্চ মাধ্যমিক ০১) ফুলবাড়ীয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ০২) শাহাবুদ্দিন ডিগ্ৰী কলেজ ০৩) বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব সরকারি মহিলা কলেজ ০৪) ফুলবাড়িয়া মহিলা ডিগ্রি কলেজ ০৫) ফুলবাড়িয়া রয়েল কলেজ ০৬) আখতার সুলতানা মহিলা কলেজ ০৭) ভবানীপুর ফাজিল ডিগ্ৰী মাদ্রাসা ০৮)কাতলাসেন কাদেরিয়া আলিয়া (ফাজিল)মাদ্রাসা। (ডিগ্রী সমমান) ০৯) কেশরগঞ্জ ডিগ্রী কলেজ আলিম মাদ্রাসা ১) ধুরধুরিয়া আলিম মাদ্রাসা অর্থনীতি ফুলবাড়িয়ার অর্থনীতি মূলত কৃষিনির্ভর এছাড়াও বিভিন্ন রকমের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং কল-কারখানা রয়েছে। নদ-নদী উপজেলার উপর দিয়ে অনেকগুলো নদী প্রবাহিত হয়েছে।। সেগুলো হচ্ছে উদমারী নদী,বাজান নদী, বানার নদী, নাগেশ্বরী নদী, আখিলায়া নদী, মিয়াবুয়া নদী, কাতামদারী নদী, সিরখালি নদী ও খিরো নদী উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব মোসলেম উদ্দিন, বর্তমান সংসদ সদস্য। প্রকৌশলী শামসুদ্দিন আহমেদ, সাবেক সংসদ সদস্য। দর্শনীয় স্থান ফুলবাড়ীয়া উপজেলার বালিয়ান ইউনিয়নের ঐতিহাসিক বাসনা ঈদগাহ মাঠ এবং বাক্তা ইউনিয়নের কৈয়ারচালা গ্রামে অবস্থিত (কৈয়ারচালা,ভালুকজান,ও চাঁদপুর)  ঈদগাহ মাঠ। যা ময়মনসিংহ (দক্ষিণ অঞ্চলের) বৃহত্তম ঈদগাহ মাঠ এবং দৃষ্টিনন্দন দর্শনীয় স্থান । ফুলবাড়ীয়ার আলাদীন'স পার্ক বহু লোকের জন্য দৃষ্টিনন্দন পার্ক । ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া উপজেলার এনায়েতপুর ইউনিয়নের দুলমা গ্রামে অর্কিড গার্ডেন(দীপ্তি অর্কিডস) অবস্থিত। মনোমুগ্ধকর এ বাগানে সাত জাতের একুশ ধরনের মোট তিন লাখ অর্কিড রয়েছে। অধিকাংশ অর্কিড বিদেশে রপ্তানী হচ্ছে। বাগানটি জুলাই ২০০২ সালে ১১ একর জায়গার উপর প্রতিষ্ঠিত হয়।এবং একটি বিশাল বড় রাবার বাগান(মধুপুর গড়) ও আছে। হাজার বছরের প্রাচীন কারুকাজ সম্বৃদ্ধ সম্পন্ন পাঁচ গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদ ফুলবাড়ীয়া উপজেলায় জোরবাড়ীয়া (পূর্ব) গ্রামে মরহুম আঃরশিদ খান সাহেবের বাড়ীতে (খান বাড়ীতে) অবস্থিত। ফুলবাড়ীয়া পুলিশ স্টেশন থেকে মসজিদটির দূরত্ব মাত্র 3.4 কিলোমিটার। ফুলবাড়ীয়ার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে রাঙ্গামাটিয়া ইউনিয়নের বিশাল বনাঞ্চল, বড় বিল/পদ্ন বিল, আনই রাজার দীঘি (আনইগাং), নাওগাঁও ইউনিয়নের সন্তোষপুর রাবার বাগান ও বিস্তৃত বনভূমি। এছাড়াও এই অঞ্চলে ফুলবাড়ীয়ার ঐতিহ্য হলুদ চাষ, আনারষ চাষ এবং গাছে দেখা মিলবে বানর। এবং রাবার প্রক্রিয়ার বিষয়টিও দেখা যাবে রাবার বাগানের ভিতরেই রয়েছে সরকারী একটি ইন্ডাস্ট্রী । পৌষ মাসের শেষ দিন ফুলবাড়ীয়া উপজেলার বালিয়ান ইউনিয়নের দশমাইল নামক স্থানে খোলা মাঠে শুরু হয় ঐতিহাসিক হুম গুটি খেলা । এই খেলা বিকাল চার ঘটিকায় শুরু হয় এবং হাজার হাজার জনগন একত্রে এই খেলা খেলে এবং উপভোগ করে। দেওখোলা ইউনিয়নের অন্তর্গত লক্ষীপুর বাজার সরকারী পুকুর পাড়ে অবস্থিত ১৯৭১ সালের মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভ। সামাজিক সংগঠন রক্তদানে আমরা ফুলবাড়ীয়া সমাজকল্যাণ সংস্থা কিশলয় তারুণ্য দীপ্ত বাংলাদেশ ফুলবাড়িয়া স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন, একতা যুব উন্নয়ন কল্যাণ ক্লাব বালাশ্বর দাওয়াহ ক্লাব জাগ্রত আছিম গ্রন্থাগার বালিয়ান উন্নয়ন তরুণ সংঘ কোরআনের কাফেলা ফুলবাড়িয়া কমিউনিটি ফুলবাড়িয়া মাদানী রক্তদান ফাউন্ডেশন কৈয়ারচালা ফ্রেন্ডশীপ ক্লাব তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ বাংলাপিডিয়ায় ফুলবাড়িয়া উপজেলা বিষয়শ্রেণী:ফুলবাড়িয়া উপজেলা বিষয়শ্রেণী:ময়মনসিংহ জেলার উপজেলা বিষয়শ্রেণী:ময়মনসিংহ বিভাগের উপজেলা
ফুলবাড়িয়া উপজেলা
সেভ দ্য চিলড্রেন (Save the children) একটি আর্ন্তজাতিক বেসরকারী সংস্থা। বিশ্বব্যাপী যেসকল প্রতিষ্ঠান শিশু কল্যাণে নিয়োজিত Save the children তাদের মধ্যে অন্যতম। যুদ্ধ বিধবস্ত দেশ বা অঞ্চলের নিরাপত্তা প্রদানের লক্ষ্যে ইংল্যান্ডের বিশিষ্ট সমাজবিজ্ঞানী ও শিক্ষক Eglantyn Jebb ১৯১৯ সালে Save the children fund গঠন করেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কিছু সমাজ সচেতন ব্যক্তি Jebb এর Vision এ উব্দুদ্ধ হয়ে ১৯৩২ সালে Save the children in the united State প্রতিষ্ঠা করেন। প্রথম দিকে শুধু যুক্তরাষ্ট্রে এর কর্মসূচি পালিত হলেও বর্তমানে ১২০ দেশে এর কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে । ২০১৪ সাল নাগাদ ৫০ মিলিয়নের বেশি শিশুকে সহায়তা দিয়েছে Save the children । Save the children এর বর্তমান প্রধান নির্বাহী Helle Thorning Schmidt. Save the children এর উদ্দেশ্যঃ ঝুকিপূর্ণ শিশু ও তার পরিবারকে সহায়তা শিক্ষাবঞ্চিত শিশুর শিক্ষা নিশ্চিত করা HIV/AIDS আক্রান্ত বা ঝুকিপূর্ন শিশুকে সুরক্ষা দেয়া শিশু পাচার, অপব্যবহার ও শোষণ বন্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ শিশুর পুষ্টিকর খাবার সরবরাহ ও স্বাস্থ সেবা নিশ্চিত করা শিশু অধিকার রক্ষায় কাজ করা Bangladesh এ Save the children ১৯৭০ সালে কার্যক্রম শুরু করে। তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:বেসরকারী প্রতিষ্ঠান বিষয়শ্রেণী:আন্তর্জাতিক সংস্থা
সেভ দ্য চিলড্রেন
আংশিক তহবিল ব্যাংকিং (Fractional-reserve banking) এক ধরনের ব্যাংকিং যাতে ব্যাংকসমূহ তাদের ডিপোজিটের অংশবিশেষ তহবিলে বা রিজার্ভে রাখে এবং বাকীটুকু ধার দিয়ে দেয়। তবে চাহিদার সময় ব্যাংককে সমস্ত ডিপোজিট ফেরত দিতে হয়। এই পদ্ধতিটি সারা বিশ্বজুড়ে প্রচলিত এবং এটিই প্রামাণ্য ব্যাংকিং ব্যবস্থা হিসেবে স্বীকৃত। বিষয়শ্রেণী:সমষ্টিক অর্থশাস্ত্র
আংশিক তহবিল ব্যাংকিং
মির্জাপুর বাংলাদেশের টাঙ্গাইল জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা। অবস্থান ঢাকা থেকে ৬৮ কিলোমিটার দূরে এবং টাংগাইল সদর থেকে ২৭ কিলোমিটার পুর্ব দিকে এ উপজেলাটির অবস্থান । মির্জাপুর উপজেলার উত্তরে সখিপুর উপজেলা, দক্ষিণে ধামরাই উপজেলা, পুর্বে কালিয়াকৈর উপজেলা এবং পশ্চিমে দেলদুয়ার উপজেলা অবস্থিত। মির্জাপুরকে বলা হয় উত্তরবংগের দরজা। ঢাকা থেকে টাংগাইল এর যে কোন উপজেলায় যাবার একমাত্র রাস্তাটি মির্জাপুরের উপর দিয়ে চলে গেছে। মির্জাপুরের উত্তর পাশ দিয়ে বয়ে গেছে বংশাই নদী এবং দক্ষিণ পাশ দিয়ে বয়ে গেছে লৌহজং নদী। প্রশাসনিক এলাকা ১৪ টি ইউনিয়ন এবং ১টি পৌরসভা (মির্জাপুর নিয়ে মির্জাপুর উপজেলা গঠিত। গোড়াই ইউনিয়ন ফতেপুর ইউনিয়ন জামুর্কী ইউনিয়ন বানাইল ইউনিয়ন আনাইতারা ইউনিয়ন ভাতগ্রাম ইউনিয়ন ওয়ার্শী ইউনিয়ন বহুরিয়া ইউনিয়ন মহেড়া ইউনিয়ন তরফপুর ইউনিয়ন আজগানা ইউনিয়ন বাঁশতৈল ইউনিয়ন লতিফপুর ইউনিয়ন ভাওড়া ইউনিয়ন মির্জাপুর পৌরসভা ইতিহাস ১৯৮২ সালে বাংলাদেশের প্রথম ‘‘ উন্নীত থানা ’’ হিসেবে তৎকালীন রাষ্ট্রপ্রধান এটি উদ্বোধন করেন। শিক্ষা মির্জাপুর শিক্ষার দিক দিয়ে শুধু টাংগাইল নয় বাংলাদেশের অন্যতম উপজেলা। এই উপজেলার সাক্ষরতার হার ৯১%ও শিক্ষার হার ৮৭%। এটি দেশের A ক্যাটাগরির উপজেলা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ - মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজ কুমুদিনী উইমেন্স মেডিকেল কলেজ ভারতেশ্বরী হোমস্ (সারা বাংলাদেশে ১ টি) মির্জাপুর সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ মহিলা কলেজ নতুন কহেলা কলেজ বাঁশতৈল কলেজ সারিয়াচড়া কলেজ টেকনিক্যাল কলেজ বানাইল উচ্চ বিদ্যালয় হাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়, বানিয়ারা উচ্চ বিদ্যালয়, মসদই উচ্চ বিদ্যালয়, মির্জাপুর এস.কে পাইলট বালক উচ্চ বিদ্যালয়, মির্জাপুর এস.কে পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় দেওহাটা এ, জে উচ্চ বিদ্যালয়, মৈশামূড়া বসন্ত কুমারী উচ্চ বিদ্যালয়, বন্দ্য কাওয়ালজানী খাদেম আলী উচ্চ বিদ্যালয় আরও অনেক । উয়ার্শী পাইক পাড়া এম ইয়াছিন এন্ড ইউনুছ খান উচ্চবিদ্যালয়। উয়ার্শী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। সিয়াম একাডেমীক স্কুল উয়ার্শী। অর্থনীতি গত দুই দশক ধরে মির্জাপুর উপজেলার গোড়াই ইউনিয়নে বেশ কিছু ভারি শিল্প কারখানা গড়ে উঠেছে। উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব রণদাপ্রসাদ সাহা, বাংলাদেশের বিখ্যাত সমাজসেবক এবং দানবীর ব্যক্তিত্ব ছিলেন। আর. পি. সাহা নামেই তিনি সমধিক পরিচিত ছিলেন। অমৃতলাল সরকার, ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন অন্যতম ব্যক্তিত্ব বিপ্লবী অনুশীলন দলের সভ্য। প্রতিভা মুৎসুদ্দি, বাংলাদেশের একজন শিক্ষাবিদ ও ভাষা সংগ্রামী। শিক্ষাক্ষেত্রে অবদানের জন্য তিনি ২০০২ সালে একুশে পদক লাভ করেন। আরও দেখুন টাঙ্গাইল জেলা ঢাকা বিভাগ বাংলাদেশের উপজেলাসমূহ। তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ ইউটিউব ভিডিওতে দেখুন মির্জাপুর উপজেলার ইতিহাস ও ঐতিহ্য বিষয়শ্রেণী:মির্জাপুর উপজেলা বিষয়শ্রেণী:টাঙ্গাইল জেলার উপজেলা বিষয়শ্রেণী:ঢাকা বিভাগের উপজেলা
মির্জাপুর উপজেলা
নবীগঞ্জ উপজেলা বাংলাদেশের হবিগঞ্জ জেলার একটি প্রশাসনিক এলাকা। অবস্থান ও আয়তন ২৪°২৫´ থেকে ২৪°৪১´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯১°২৪´ থেকে ৯১°৪০´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশে অবস্থিত এই উপজেলাটির উত্তরে সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই ও জগন্নাথপুর উপজেলা, দক্ষিণে হবিগঞ্জ সদর ও বাহুবল উপজেলা, পূর্বে মৌলভীবাজার জেলার মৌলভীবাজার সদর ও শ্রীমঙ্গল এবং সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলা এবং পশ্চিমে বানিয়াচং উপজেলা। ইতিহাস ১৭৫৭ খ্রিষ্টাব্দে পলাশী বিপর্যয়ের ৮ বছর পর ১৭৬৫ খ্রিষ্টাব্দে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যার দেওয়ানী সনদ লাভ করে। এবছরই সিলেট ব্রিটিশ শাসনের অধীনে আসে। ১৮৮৪ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত সিলেট ছিল ঢাকা বিভাগের অধীনে। ১৯০৫ খ্রিষ্টাব্দে বাংলাকে ভাগ করে পূর্ববঙ্গ ও আসাম প্রদেশ সৃষ্টি করা হলে সিলেটকে চট্টগ্রাম বিভাগের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ১৯৪৭ সালের ১৩ই আগস্ট পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পূর্বদিন পর্যন্ত সিলেট আসামের একটি জেলা হিসেবে গণ্য ছিল। অর্থাৎ এই সময়ে নবীগঞ্জ আসাম প্রদেশের একটি জেলা হিসেবে সিলেটের অন্তর্ভুক্ত ছিল। ১৯৪৭ সালের ১৪ই আগস্ট ব্রিটিশের কবল থেকে মুক্ত হয়ে একটি স্বাধীন সার্বভৌম পাকিস্তান কায়েম হলে সিলেট তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তানের একটি জেলায় পরিণত হয়। তখন সিলেটকে পুনরায় চট্টগ্রাম বিভাগের অন্তর্ভুক্ত করা হলে নবীগঞ্জকে চট্টগ্রাম বিভাগে ন্যস্ত করা হয়। ১৯৮৪ সালে সাবেক সেনাশাসক (রাষ্ট্রপতি) হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণের অংশ হিসেবে মহকুমাগুলোকে জেলায় পরিণত করলে সিলেট জেলাকে ৪টি জেলায় বিভক্ত করা হয়। যথা- সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ। ১৯৯৪ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া কর্তৃক উপরিউক্ত ৪টি জেলার সমন্নয়ে বাংলাদেশের ৬ষ্ঠ বিভাগ হিসেবে সিলেট বিভাগ ঘোষণা করেন। ১৯৯৫ সালের ১লা আগস্ট আনুষ্ঠানিকভাবে সিলেট বিভাগের কার্যক্রম শুরু হয়। রাজস্ব জেলা নবীগঞ্জ ও এর আওতাধীন পরগনা সমূহ: জন উইলস এর আমলে ১০ টি রাজস্ব জেলার মধ্যে নবীগঞ্জ ছিল ১টি অন্যতম রাজস্ব জিলা এবং এর অধীনস্থ ছিল মোট ১৬ টি পরগনা। এগুলো হচ্ছে- দিনারপুর মান্দারকান্দি চৌকি মুড়াকরি বানিয়াচং কুর্শা জোয়ার বানিয়াচং আগনা বিথঙ্গল জলসুখা জন্তরী বাজেসুনাইত্যা সত্রসতী জোয়ানশাহী বাজেসত্রসতী কিংকুর্শা নামকরণ সমতল, হাওড় ও পাহাড় ঘেরা হযরত শাহজালাল (র:)’র সিলেট বিজয়ের প্রথম অভিযানের স্মৃতিবিজড়িত পুণ্যভূমি নবীগঞ্জের নামকরণের ক্ষেত্রে বহুল প্রচলিত জনশ্রুতি মতে, হযরত শাহ নবী বক্স (র:) নামে জনৈক কামিল দরবেশ ইসলামের মহান বাণী প্রচারের উদ্দেশ্যে এ অঞ্চলে আগমন করেন এবং প্রবাহিত শাখা-বরাক নদীর তীরে আস্তানা গাড়েন। তাঁর স্থাপিত আস্তানাকে কেন্দ্র করে লোকসমাগম বাড়তে থাকার ফলে এখানে একটি গঞ্জ বা বাজারের গোড়াপত্তন শুরু হয়। পরবর্তীতে তাঁর নামের সম্মানার্থে এ গঞ্জ বা বাজারের নামকরণ করা হয় নবীগঞ্জ। নবীগঞ্জ নামকরণের ক্ষেত্রে অন্য একটি ভিন্নমত প্রচলিত আছে, যে ইসলামের নবী মুহাম্মাদ এর প্রতি শ্রদ্ধার নিদর্শন স্বরূপ নবীগঞ্জ নামকরণ করা হয়েছিল। প্রশাসনিক এলাকা নবীগঞ্জ উপজেলায় বর্তমানে ১টি পৌরসভা ও ১৩টি ইউনিয়ন রয়েছে। সম্পূর্ণ উপজেলার প্রশাসনিক কার্যক্রম নবীগঞ্জ থানার আওতাধীন। পৌরসভা: নবীগঞ্জ ইউনিয়নসমূহ: ১নং বড়ভাকৈর পশ্চিম ২নং বড়ভাকৈর পূর্ব ৩নং ইনাতগঞ্জ ৪নং দীঘলবাক ৫নং আউশকান্দি ৬নং কুর্শি ৭নং করগাঁও ৮নং নবীগঞ্জ সদর ৯নং বাউসা ১০নং দেবপাড়া ১১নং গজনাইপুর ১২নং কালিয়ারভাঙ্গা ১৩নং পানিউমদা নদ-নদী ঐতিহাসিক ইলিশা খাল, বরাক নদী, বিবিয়ানা নদী। সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য ভাষা বাংলা, সিলেটি (ꠍꠤꠟꠐꠤ)। খেলাধুলা ফুটবল, ক্রিকেট, দাবা এবং গাপলা। শিক্ষা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মাধ্যমিক উচ্চ বিদ্যালয় দাখিল মাদ্রাসা সরকারি কলেজ জনসংখ্যার উপাত্ত জনসংখ্যা- ২৮৫০৪০ জন, জনসংখ্যার ঘনত্ব- ৬৪৮। দর্শনীয় স্থান হযরত শাহ্‌ খিজির শাহ্‌ - দরগাহ শরীফ (দরগাহ পাড়া, দরগাহ বাড়ি, গজনাইপুর); বিবিয়ানা গ্যাস ফিল্ড; রাজা ভগদত্তের উপরাজধানী (সদরঘাট); নবীগঞ্জের চৌকি; শাহ তাজউদ্দিন কোরেশী-এর মাজার; শাহ সদরউদ্দিন কোরেশী-এর মাজার; সৈয়দ নূর শাহ-এর মাজার; টঙ্গীটিলার মাজার ও চা-বাগানসমূহ। উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব শাহ এ এম এস কিবরিয়া - সাবেক অর্থমন্ত্রী, সাবেক পররাষ্ট্র সচিব এবং এসকাপের সাবেক নির্বাহী সচিব; দেওয়ান ফরিদ গাজী - রাজনীতিবিদ; শাহ্‌ রজব আলী - রাজনীতিবিদ, বিশিষ্ট সমাজ সেবক, জুরর (দরগাহ পড়া, গজনাইপুর); খলিলুর রাহমান চৌধুরী রফি-সাবেক সংসদ সদস্য; শেখ সুজাত মিয়া - রাজনীতিবিদ অনুদ্বৈপায়ন ভট্টাচার্য - শিক্ষাবিদ ও শহীদ বুদ্ধিজীবী; মাহবুবুর রব সাদী - স্বাধীনতা যুদ্ধের বীর প্রতীক; আব্দুর রউফ চৌধুরী - কথাসাহিত্যিক, লেখক; মোহাম্মদ আব্দুল মুনিম চৌধুরী - রাজনীতিবিদ; গাজী মোহাম্মদ শাহনওয়াজ - রাজনীতিবিদ। সেগুফতা বখ্‌ত চৌধুরী - বাংলাদেশ ব্যাংকের ৪র্থ গভর্নর আব্দুর রউফ চৌধুরী - কথাসাহিত্যিক ও লেখ, বাংলা একাডেমির আজীবন সদস্য উপজেলা পরিষদ উপজেলা পরিষদ তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ নবীগঞ্জ উপজেলা - জাতীয় তথ্য বাতায়ন। বিষয়শ্রেণী:নবীগঞ্জ উপজেলা বিষয়শ্রেণী:হবিগঞ্জ জেলার উপজেলা
নবীগঞ্জ উপজেলা
রাজবাড়ী সদর উপজেলা বাংলাদেশের রাজবাড়ী জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা। অবস্থান এই উপজেলর উত্তরে পদ্মা নদী, দক্ষিণে ফরিদপুর জেলা, পূর্বে গোয়ালন্দ উপজেলা এবং পশ্চিমে পাংশা উপজেলা ও বালিয়াকান্দি উপজেলা অবস্থিত। প্রশাসনিক এলাকা নির্বাচনী এলাকাঃ রাজবাড়ী -১ থানাঃ ০১ টি পৌরসভাঃ ০১টি ইউনিয়নঃ ১৪টি পৌরসভা: রাজবাড়ি পৌরসভা ইউনিয়ন সমূহ:- মিজানপুর ইউনিয়ন দাদশী ইউনিয়ন শহীদ ওহাবপুর ইউনিয়ন বসন্তপুর ইউনিয়ন খানখানাপুর ইউনিয়ন আলীপুর ইউনিয়ন, রাজবাড়ী সদর খানগঞ্জ ইউনিয়ন চন্দনী ইউনিয়ন রামকান্তপুর ইউনিয়ন বানীবহ ইউনিয়ন মূলঘর ইউনিয়ন, রাজবাড়ী সদর বরাট ইউনিয়ন পাঁচুরিয়া ইউনিয়ন সুলতানপুর ইউনিয়ন, রাজবাড়ী সদর উল্লেখ যোগ্য স্থান জৌকুড়া ফেরীঘাট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ৩ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১টি মহাবিদ্যালয় ৩টি মাদরাসা ৬ট প্রাথমিক বিদ্যালয় আরও দেখুন রাজবাড়ী জেলা ঢাকা বিভাগ বাংলাদেশের উপজেলাসমূহ তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ বিষয়শ্রেণী:রাজবাড়ী সদর উপজেলা বিষয়শ্রেণী:রাজবাড়ী জেলার উপজেলা বিষয়শ্রেণী:ঢাকা বিভাগের উপজেলা
রাজবাড়ী সদর উপজেলা
নিয়ামতপুর বাংলাদেশের নওগাঁ জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা। অবস্থান উত্তরে নওগাঁ জেলার পোরশা উপজেলা, পূর্বে মান্দা উপজেলা ও মহাদেবপুর উপজেলা, দক্ষিণে রাজশাহী জেলার তানোর উপজেলা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নাচোল উপজেলা এবং পশ্চিমে গোমস্তাপুর উপজেলা ও নাচোল উপজেলা। প্রশাসনিক এলাকা এই উপজেলার ইউনিয়ন সমূহ হচ্ছে - হাজীনগর ইউনিয়ন চন্দননগর ইউনিয়ন ভাবিচা ইউনিয়ন নিয়ামতপুর ইউনিয়ন, নিয়ামতপুর রসুলপুর ইউনিয়ন, নিয়ামতপুর পাঁড়ইল ইউনিয়ন শ্রীমন্তপুর ইউনিয়ন বাহাদুরপুর ইউনিয়ন, নিয়ামতপুর ইতিহাস গৌড় বাংলার রাজধানী থাকাকালীন সময়ে সেখানে মহামারী দেখা দিলে সেই এলাকা হতে বহু লোক ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে বিভিন্ন দিকে পালিয়ে যায়। সেই সময় একটি পরিবার বর্তমানে নিয়ামতপুর উপজেলার নিয়ামতপুর গ্রামে এসে বসবাস আরম্ভ করে । তখন এই স্থানের নাম ছিল হোকমাডাংগা । কথিত আছে যে, জনৈক ধর্মপ্রাণ দরবেশ ব্যক্তি এই হোকমাডাংগায় আগমণ করলে নিয়ামতপুরের আদিপুরুষগণ নজর নিয়ামত ও বিভিন খাদ্য সামগ্রী তার সন্মার্থে তৌহফা হিসেবে পেশ করেন। ভোগের রসনা সামগ্রী দেখে তিনি অত্যন্ত খুশি হন এবং বলেন যে, যেখানে আল্লাহ পাক এত নিয়ামত দান করেছেন সেই স্থানের নাম সুন্দর হওয়া দরকার। তাই তিনি হোকমাডাংগার পরিবর্তে স্থানটির নাম করণ করেন নিয়ামতপুর। ঐতিহাসিক নিদর্শন ও ঐতিহ্য দর্শনীয় স্থানঃ 👉ছাতড়া বিল 👉শালবন (শালবাড়ী) 👉নিমদিঘী ব্রুজ 👉ধর্মপুর ঐতিহাসিক মসজিদ 👉রাস্তার দু পাশে দৃষ্টিনন্দন তালগাছের সারি (ঘুঘুডাঙ্গা) 👉শিবপুর বারোয়ারী দূর্গা মন্দির 👉শিবপুর বাজার জামে মসজিদ 👉বেলগাপুরের প্রাচীন বটবৃক্ষ 👉কালাপাহাড়ের ভিটে (নিয়ামতপুর) 👉কুমরইল ফুটবল মাঠ ★নিমদিঘী ব্রুজঃ 👉নিয়ামতপুর উপজেলা থেকে বাস ও ভুটভুটি যোগে যাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। নিয়ামতপুর সদর থেকে ১৩ কি:মি: উত্তর-পশ্চিম কোনে নিমদিঘী মোষ বাথান মোড়/কলেজ মোড় গ্রামে। ★ছাতড়া বিলঃ 👉নিয়ামতপুর উপজেলা সদর থেকে উত্তরে প্রায় ১৫কি:মি: দূরে মহাদেবপুর উপজেলার সীমানা ঘেসে চন্দননগর ইউনিয়নে ছাতড়া বিল অবস্থিত। ★ধর্মপুর ঐতিহাসিক মসজিদঃ 👉নিয়ামতপুর উপজেলা থেকে অত্র মসজিদটি প্রায় ১৫ কি.মি দূরে অবস্থিত। অত্র মসজিদে ভুটভুটি ভ্যানে করে যাওয়া যায়। ★বেলগাঁপুর বটবৃক্ষঃ 👉নিয়ামতপুর সদর হতে ৬ কি: মি: পশ্চিমে ভাদরন্ড মোড় হতে দক্ষিন দিকে প্রায় ৫ কি: মি:দুরে অবস্থিত। শিক্ষা ★কেজি স্কুলঃ ১টি ★এনজিও স্কুলঃ ৮টি ★মোট কলেজের সংখ্যাঃ ০৫ টি ( ডিগ্রী ৩টি ) 👉বালাতৌড় সিদ্দিক হোসেন ডিগ্রি কলেজ (১৯৭০) 👉নিয়ামতপুর ডিগ্রি কলেজ (১৯৮০) 👉চন্দননগর কলেজ ★স্কুল এন্ড কলেজঃ ০২টি ★বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজঃ ০১টি ★কারিগরী কলেজঃ ০২টি ★উচ্চ বিদ্যালয়ঃ ৪৩টি(৫টি বালিকা সহ ) ★নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়ঃ ৬টি ★সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ঃ ৭২টি ★রেজিঃবেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ঃ ৫০টি ★মাদ্রাসার সংখ্যাঃ ২৬টি ( তন্মধ্যে-২টি ফাজিল,৬টি আলিম ) ★এবতেদায়ী মাদ্রাসাঃ ২৪টি। অর্থনীতি কৃতী ব্যক্তিত্ব সাধন চন্দ্র মজুমদার এম পি জনসংখ্যা ★মোট লোকসংখ্যাঃ ২,৪৮,৩৫১ জন(২০১১ সালের আদমশুমারী অনুযায়ী) ★মোট ভোটার সংখ্যাঃ ১,৫৫,৮৮৭জন 👉পুরুষ-- ৭৫,০৬৬ জন 👉মহিলা--৮০,৮২১জন তথ্যসূত্র আরও দেখুন বহিঃসংযোগ বিষয়শ্রেণী:নওগাঁ জেলার উপজেলা বিষয়শ্রেণী:নিয়ামতপুর উপজেলা
নিয়ামতপুর উপজেলা
মাটিরাঙ্গা বাংলাদেশের খাগড়াছড়ি জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা। মাটিরাঙ্গা উপজেলা হিসেবে ঘোষিত হয় ১৯৮৩ ইং সনে। অবস্থান ও সীমানা মাটিরাঙ্গা উপজেলার পূর্বে পানছড়ি উপজেলা, খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা ও মহালছড়ি উপজেলা; দক্ষিণে গুইমারা উপজেলা ও রামগড় উপজেলা এবং পশ্চিমে ও উত্তরে ভারতের ত্রিপুরা প্রদেশ অবস্থিত। প্রশাসনিক এলাকা মাটিরাঙ্গা উপজেলায় বর্তমানে ১টি পৌরসভা ও ৭টি ইউনিয়ন রয়েছে। সম্পূর্ণ উপজেলার প্রশাসনিক কার্যক্রম মাটিরাঙ্গা থানার আওতাধীন। পৌরসভা: মাটিরাঙ্গা ইউনিয়নসমূহ: ১নং তাইন্দং ২নং তবলছড়ি ৩নং বড়নাল ৪নং গোমতি ৫নং বেলছড়ি ৬নং মাটিরাঙ্গা ৮নং আমতলী নামকরণের ইতিহাস জনশ্রুতি আছে যে, মাটিরাঙ্গা উপজেলা'র প্রাণকেন্দ্রে জনবসতি গড়ে উঠার সময়কালে অতিমাত্রায় বৃষ্টি হওয়ার ফলে ধ্বসে পড়া একটি পাহাড়ের মাটির রং তামাটে লাল দেখে জায়গার নাম “মাটিরাঙ্গা” নামকরণ করা হয়। জনসংখ্যার উপাত্ত এখানে মোট জনসংখ্যা- ১,২৬,৪৭৭ জন তার মধ্যে পুরুষ- ৬৩,৬৯৫ জন ও মহিলা- ৬২,৭৮২ জন, আর বাৎসরিক জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার- ৩৭.৬৪%. শিক্ষা উচ্চ বিদ্যালয়ের সংখ্যা - ৯ টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় - ৮২ টি বে-সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়- ১৮ টি কিন্ডার গার্টেন- ৩ টি শিক্ষার হার- ৪৪.২%। অর্থনীতি কৃষি সংক্রান্ত তথ্য মোট জমির পরিমাণ - ২২,৫৩০ হেক্টর নীট ফসলি জমি - ১৭,৩৫০ হেক্টর মোট ফসলী জমি - ৩৫,১৪০ হেক্টর এক ফসলী জমি - ৬৯৩৫.০০ একর দুই ফসলী জমি - ৭৮৯০.০০ একর তিন ফসলী জমি - ৩৯০৪.০০ একর গভীর নলকূপ- ১২২৬ টি অ-গভীর নলকূপ- ২৮৫২ টি শক্তি চালিত পাম্প- ৪৪১ টি ব্লক সংখ্যা- ৪২ টি বাৎসরিক খাদ্য চাহিদা- ৭৬,৩৩৪.০০০ মেট্রিক টন মোট নলকূপ - ৪১৭০ টি জনপ্রতিনিধি উপজেলা পরিষদ ও প্রশাসন বিবিধ ইউনিয়ন ৭টি, গ্রাম ৩২৫টি, মৌজা ২৫টি, পোস্ট অফিস ১টি ও সাবপোস্ট অফিস ৫টি, পৌরসভা ১টি। (মাটিরাঙ্গা পৌরসভা) ১৯৬ নং মাটিরাঙ্গা মৌজাসমূহের উল্লেখযোগ্য গ্রামের নামসমূহঃ ১/বাবু পাড়া ২/মংতু চৌধুরীপাড়া ৩/চরপাড়া ৪/মিস্ত্রি পাড়া ৫/হাসপাতাল পাড়া ৬/কাঁঠাল বাগান ৭/চৌধুরী পাড়া ৮/বরজালা ৯/ভূইয়া পাড়া ১০/আর্দশগ্রাম ১১/ওয়াছো মৌজা ১২/মুসলিম পাড়া ১৩/নতুন পাড়া ১৪/নবীনগর ১৫/মাতব্বর পাড়া তথ্যসূত্র আরও দেখুন বহিঃসংযোগ বিষয়শ্রেণী:খাগড়াছড়ি জেলার উপজেলা বিষয়শ্রেণী:মাটিরাঙ্গা উপজেলা
মাটিরাঙ্গা উপজেলা
অনিশ্চয়তা নীতি (বিশেষ ভাবে পরিচিত : হাইজেনবার্গের অনিশ্চয়তা নীতি বা হাইজেনবার্গের অনির্দিষ্টতা নীতি) , কোয়ান্টাম বলবিদ্যার অন্তর্গত একটি সমীকরণ,যা পারমাণবিক ও অবপারমানবিক জগতের একটি মৌলিক সীমা উল্লেখ করে যা একটি কণার প্রকৃত অবস্থান (x) এবং ভরবেগ (p) এর একটি সীমা প্রকাশ করে । ১৯২৭ সালে প্রথম, জার্মান পদার্থবিদ "ওয়ার্নার হাইজেনবার্গ" কর্তৃক প্রবর্তিত হয়। এটি আরও নির্দিষ্টভাবে কিছু কণার অবস্থান নির্ধারিত হয় বলে উল্লেখ করা হয়,তবে কম গতিতেই তার গতি সম্পর্কে জানা যায় এবং তদ্বিপরীত। অবস্থান σx এর আদর্শ বিচ্যুতি সম্পর্কিত প্রথাগত বৈষম্য এবং গতি σp এর আদর্শ বিচ্যুতি, সেটি পরবর্তীকালে “”আর্ল হেস কেনার্ড এবং সালে হারমান ওয়েলের দ্বারা প্রাপ্ত হয়েছিল: ( হয় হ্রাসপ্রাপ্ত প্ল্যাংক ধ্রূবকের , / ()। ঐতিহাসিকভাবে, অনিশ্চয়তা নীতি বিভ্রান্ত হয়েছে পদার্থবিজ্ঞানে কিছুটা অনুরূপ প্রভাব, যা পর্যবেক্ষক প্রভাব বলে, যা মনে করে যে পদ্ধতিগুলি প্রভাবিত না করে নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে পরিমাপ করা যায় না, যেটা কোনও পদ্ধতি পরিবর্তন না করে। হাইজেনবার্গ কোয়ান্টাম স্তরে কোয়ান্টাম অনিশ্চয়তার একটি ভৌত "ব্যাখ্যা" হিসাবে একটি পর্যবেক্ষক প্রভাব ব্যবহার করেন। তবে এটা স্পষ্ট হয়ে ওঠে যে, অনিশ্চয়তা নীতিটি তরঙ্গের মতো সমস্ত ব্যবস্থার বৈশিষ্ট্যগুলির মধ্যে অন্তর্নিহিত, এবং এটি কোয়ান্টাম বলবিদ্যা মধ্যে উদ্ভূত হয় কারণ কেবলমাত্র সমস্ত কোয়ান্টাম বস্তুর তরঙ্গ ধর্ম। সুতরাং, অনিশ্চয়তা নীতি আসলে কোয়ান্টাম পদ্ধতির একটি মৌলিক সম্পত্তির কথা বলে, এবং বর্তমান প্রযুক্তির পর্যবেক্ষণগত সাফল্য সম্পর্কে শুধুমাত্র এক বিবৃতি নয়। এটি জোর দেওয়া উচিত যে পরিমাপের অর্থ কেবল একটি প্রক্রিয়া যা কোনও পদার্থবিজ্ঞানী-পর্যবেক্ষক অংশ নেন না, বরং কোনও পর্যবেক্ষকের নির্বিশেষে ক্লাসিক্যাল এবং কোয়ান্টাম বস্তুর মধ্যে কোনও পারস্পরিক ক্রিয়া। যেহেতু অনিশ্চয়তার নীতি কোয়ান্টাম বলবিদ্যার একটি মৌলিক ফলাফল, কোয়ান্টাম বলবিদ্যার সাধারণ প্রচলন নিয়মিতভাবে এর দিকগুলি পালন করে। যাইহোক, কয়েকটি গবেষণায় তাদের প্রধান গবেষণা কর্মসূচির অংশ হিসাবে অনিশ্চয়তার নীতির একটি নির্দিষ্ট রূপে ইচ্ছাকৃতভাবে পরীক্ষা করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, অতিপরিবাহিতা (superconducting) বা কোয়ান্টাম আলকবিদ্যা পদ্ধতিতে সংখ্যার-দশা অনিশ্চয়তার সম্পর্কগুলির পরীক্ষাগুলি অন্তর্ভুক্ত করে। তার অপারেশনের জন্য অনিশ্চয়তা নীতির উপর নির্ভরশীল আবেদনগুলি অত্যন্ত কম শব্দ প্রযুক্তি যেমন মহাকর্ষীয় তরঙ্গ ইন্টারফেরোমিটারের মধ্যে প্রয়োজন। কোনো কণিকার অবস্থান এবং ভরবেগ, একইসাথে নিখুঁতভাবে জানা সম্ভব না। অবস্থান নিখুঁতভাবে পরিমাপ করতে গেলে ভরবেগের মানে ভুলের পরিমাণ বাড়বে, আবার ভরবেগ নিখুঁতভাবে পরিমাপ করতে গেলে অবস্থানের মানে ভুলের পরিমাণ বাড়বে -- এই নীতিটিকে অনিশ্চয়তা নীতি বলা হয়। জার্মান পদার্থবিজ্ঞানী ওয়ার্নার হাইজেনবার্গ এই মৌলিক নীতিটি আবিষ্কার করেন। ইলেকট্রনের ভরবেগ সঠিকভাবে জানতে এমন ফোটন দরকার যার শক্তি কম, যাতে এটা ইলেকট্রনটির ভরবেগকে প্রভাবিত না করতে পারে। কিন্তু আমরা জানি ফোটনের শক্তি এর কম্পাঙ্কের সমানুপাতিক। অর্থাৎ, কম শক্তির ফোটনের কম্পাঙ্ক কম তথা তরঙ্গ দৈর্ঘ্য বেশি হবে। ফলে এমন বড়সড় ফোটন ইলেকট্রনের অবস্থান ঠিকভাবে নির্ণয় করতে ব্যর্থ হবে, যেমন আমাদের হাত ব্যর্থ হয় টেবিলের অমসৃণ পৃষ্ঠকে অনুধাবন করতে। আবার আমরা যদি ছোট(তরঙ্গ দৈর্ঘ্য কম তথা কম্পাঙ্ক বেশি) ফোটন ব্যবহার করি, তাহলে অণুবীক্ষণ যন্ত্রের মত, এটা ইলেকট্রনের অবস্থান ভালোভাবে নির্ণয় করলেও, এমন ফোটনের শক্তি বেশি থাকায় ইলেকট্রনের ভরবেগ পালটে দেবে। এভাবে অনিশ্চয়তা নীতি সবসময়ই প্রযোজ্য থাকবে। প্ল্যাঙ্কের ধ্রুবক খুব ছোট বলে বাস্তব জীবনে অনিশ্চয়তা সূত্র আমরা অনুভব করি না বললেই চলে।কিন্তু আনুবীক্ষণিক জগতে অনিশ্চয়তা সূত্রের সত্যতা খুব ভালভাবে লক্ষ করা যায়। অবস্থান ও ভরবেগের অনিশ্চয়তাকে যথাক্রমে এবং দ্বারা প্রকাশ করলে, অনিশ্চয়তা নীতিটিকে নিম্নরূপে গাণিতিকভাবে প্রকাশ করা যায়, যেখানে হলো লঘুকৃত প্ল্যাংকের ধ্রূবকের (প্ল্যাংকের ধ্রূবকে ২ দিয়ে ভাগ করলে এটা পাওয়া যায়)। একইভাবে, কৌণিক অবস্থান ও কৌণিক ভরবেগের অনিশ্চয়তাকে যথাক্রমে এবং দ্বারা প্রকাশ করলে, আনিশ্চয়তা নীতিটিকে নিম্নরূপে গাণিতিক ভাবে প্রকাশ করা যায় , ভূমিকা তরঙ্গ বলবিজ্ঞান ব্যাখ্যা উদাহরণ অতিরিক্ত অনিশ্চিত সম্পর্ক মিশ্র রাষ্ট্রগুলিতে ম্যাককন-পটি অনিশ্চয়তা সম্পর্ক ফেজ স্থান পদ্ধতিগত এবং পরিসংখ্যান ত্রুটি পরিমাণ এন্ট্রোপিক অনিশ্চয়তা নীতি সুরেলা বিশ্লেষণ সংকেত প্রক্রিয়াজাতকরণ ব্যান্ডিক্স এর তত্ত্ব হার্ডি এর অনিশ্চয়তা নীতি ইতিহাস পরিভাষা এবং অনুবাদ হাইজেনবার্গ মাইক্রোস্কোপ গুরুতর প্রতিক্রিয়া বিচ্ছিন্ন পর্যবেক্ষক আদর্শ আইনস্টাইন এর চেরা আইনস্টাইন এর বাক্স বিজড়িত কণাগুলির জন্য ইপিআর কূটাভাস পপার এর সমালোচনা অনেক-বিশ্ব অনিশ্চয়তা মুক্ত ইচ্ছা আরো দেখুন কোয়ান্টাম বলবিদ্যা ইলেকট্রন ফোটন ভরবেগ নোট বহিঃসংযোগ The certainty principle Matter as a Wave – একটি অনলাইন পাঠ্যপুস্তক থেকে একটি অধ্যায় Quantum mechanics: Myths and facts Stanford Encyclopedia of Philosophy entry Fourier Transforms and Uncertainty ম্যাথ পৃষ্ঠাগুলিতে aip.org: Quantum mechanics 1925–1927 – The uncertainty principle Eric Weisstein's World of Physics – Uncertainty principle John Baez on the time–energy uncertainty relation The certainty principle Common Interpretation of Heisenberg's Uncertainty Principle Is Proved False তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:মূলনীতি বিষয়শ্রেণী:গাণিতিক পদার্থবিজ্ঞান বিষয়শ্রেণী:অসাম্য বিষয়শ্রেণী:ওয়ার্নার হাইজেনবের্গ বিষয়শ্রেণী:বৈজ্ঞানিক আইন বিষয়শ্রেণী:বিজ্ঞানের মধ্যে ১৯২৭ বিষয়শ্রেণী:পদার্থবিজ্ঞান বিষয়শ্রেণী:কোয়ান্টাম পদার্থবিজ্ঞান
অনিশ্চয়তা নীতি
দ্বিতীয় ভাষা অর্জন () বলতে যে প্রক্রিয়ায় লোকেরা তাদের প্রথম ভাষার বাইরের কোন ভাষা শিখে, সেই প্রক্রিয়াকে বোঝায়। দ্বিতীয় ভাষা বলতে বাল্যকালের পরবর্তী সময়ে অর্জিত যেকোন ভাষাকে বোঝায়। যে ভাষাটি অর্জন করা হবে তাকে "লক্ষ্য ভাষা" বা "L2" বলা হয় (আর প্রথম ভাষাকে বলা হয় "L1")। দ্বিতীয় ভাষা অর্জনকে ভাষাবিজ্ঞানের পরিভাষায় ইংরেজিতে "SLA", বা L2A-ও বলা হয়। দ্বিতীয় ভাষা অর্জন ফলিত ভাষাবিজ্ঞানের গবেষণার একটি বিষয়বস্তু। ফলিত ভাষাবিজ্ঞানীরা দ্বিতীয় ভাষা অর্জনকারী শিক্ষার্থীর অভিজ্ঞতার উপর জোর দেন। বিষয়শ্রেণী:ভাষাবিজ্ঞান
দ্বিতীয় ভাষা অর্জন
দ্যাজন সাবওয়ে হল দক্ষিণ কোরিয়ার ৫ম বৃহত্তম শহরকে সেবা প্রদানের উদ্দেশ্যে নির্মীয়মান দ্রুত পরিবহন ব্যবস্থা। বর্তমানে ৫টি পরিকল্পিত লাইনের মধ্যে ১টি নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে। ২০০৭ সাল নাগাদ লাইনটি সম্পূর্ণ উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। ১৪ মাইল দীর্ঘ লাইনটিতে ২২টি স্টেশন আছে। পথ আরও দেখুন বহিঃসংযোগ দাপ্তরিক ওয়েবসাইট নেটওয়ার্ক মানচিত্র বিষয়শ্রেণী:কোরিয়ার দ্রুতগামী গণপরিবহন ব্যবস্থা
দ্যাজন সাবওয়ে
thumb|200px|Tram on Line 15 to Mortsel at Meir pre-metro station thumb|200px|Ticket vending machine অ্যান্ট্‌ওয়ার্প প্রি-মেট্রো (ফ্লেমীয় ভাষায় Antwerpse premetro) বেলজিয়ামের ফ্ল্যান্ডার্স অঞ্চলের অ্যান্টওয়ার্প শহরকে সেবা প্রদানকারী ট্রাম ব্যবস্থা। এটিতে ৮টি লাইন ও ১২টি বিরতিস্থল বা স্টেশন আছে। লাইনগুলির মোট দৈর্ঘ্য ১১ কিলোমিটার। তথ্যসূত্র আরও দেখুন বিষয়শ্রেণী:বেলজিয়ামের দ্রুতগামী গণপরিবহন ব্যবস্থা
অ্যান্ট্‌ওয়ার্প প্রি-মেট্রো
ইউরোপ মহাদেশের ফ্রান্স রাষ্ট্রের দক্ষিণস্থ শহর মার্সেইয়ের পাতাল ট্রেন ব্যবস্থার নাম মার্সেই মেট্রো। মেট্রোটি ১৯৭৭ সালে চালু হয়। বর্তমানে ব্যবস্থাটিতে ২টি লাইন (আংশিক ভূগর্ভস্থ) এবং ২৮টি বিরতিস্থল বা স্টেশন আছে। রেলপথের মোট দৈর্ঘ্য । তথ্যসূত্র আরও দেখুন বিষয়শ্রেণী:ফ্রান্সের দ্রুতগামী গণপরিবহন ব্যবস্থা
মার্সেই মেট্রো
ভুপার্টালের ঝুলন্ত রেলপথ ( ভুপার্টালার শ্‌ভেবেবান) জার্মানির ভুপার্টাল শহরকে সেবা প্রদানকারী একটি ঝুলন্ত মনোরেল ব্যবস্থা। এটি বিশ্বের প্রাচীনতম ঝুলন্ত রেলগাড়িবিশিষ্ট মনোরেল। জার্মান প্রকৌশলী ও উদ্ভাবক অয়গেন লাঙেন (Eugen Langen) ব্যবস্থাটি নকশা করেন; তার উদ্দেশ্য ছিল ব্যবস্থাটির নকশা বার্লিন শহরকে বিক্রি করা। ১৮৯৭ থেকে ১৯০৩ সালের মধ্যে বার্মেন (Barmen), এলবারফেল্ড (Elberfeld) এবং ভুপার্টাল-ফোভিংকেল (Wuppertal-Vohwinkel) ভূমি থেকে উঁচুতে অবস্থিত বিরতিস্থলগুলি নির্মাণ করা হয়। ১৯০১ সালে প্রথম রেলপথটি চালু করা হয়। ব্যবস্থাটি আজও চালু আছে এবং প্রতি বছর এটি ২ কোটি ৫০ লক্ষ যাত্রী পরিবহন করে (২০০৮ সালের হিসাব অনুযায়ী)। ঝুলন্ত রেলপথটির মোট দৈর্ঘ্য । এটির দীর্ঘ একটি অংশ ভূমি থেকে প্রায় উচ্চতায় ভুপার নদীর উপর দিয়ে ওবারবার্মেন এবং জনবর্নার ষ্ট্রাসে রাস্তাগুলির মাঝ দিয়ে চলে গেছে। এছাড়া জনবর্নার ষ্ট্রাসে এবং ফোভিংকেলের মধ্যবর্তী উপত্যকা রাস্তাটির উপর দিয়ে উচ্চতায় দীর্ঘ আরেকটি অংশ অবস্থিত। একটি পর্যায়ে রেলপথটি বুন্ডেসআউটোবান ৪৬ নামক মহাসড়কটিকে অতিক্রম করেছে। সমস্ত পথটি অতিক্রম করতে ৩০ মিনিট প্রয়োজন হয়। ফেরকের্সফেরবুন্ড রাইন-রুর (ফাও এর এর) নামক পরিবহন সংস্থা এই ঝুলন্ত রেলব্যবস্থাটির পরিচালনার দায়িত্বে আছে। তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:জার্মানির দ্রুতগামী গণপরিবহন ব্যবস্থা
ভুপার্টালের ঝুলন্ত রেলপথ
অসলো পাতাল রেল (নরওয়েজীয়: Oslo Tunnelbane উশ্‌লো ত্যুন্নেল্‌বানে বা T-bane তে-বানে) নরওয়ের, অসলো শহরের পরিবহন ব্যবস্থা। অসলো নগর কর্তৃপক্ষের একটি প্রতিষ্ঠান অসলো টি-বেন্নেড্রিফট এই পরিবহন ব্যবস্থা পরিচালনা করে থাকে। ২০০৫ সাল পর্যন্ত এই নেটওয়ার্ক পাঁচটি লাইনে বিভক্ত ছিল যার সবকটিই শহরের কেন্দ্র দিয়ে গিয়েছে। লাইন নেটওয়ার্ক thumb|right|অসলো টি-বেন এর লাইনসমূহ ১৯৬৬ সালে স্থাপিত মূল টি-বেন পূর্বাঞ্চলীয় উপশহর থেকে শহরের কেন্দ্রের সাথে যুক্ত ছিল। এটি চারটি লাইন নিয়ে গঠি ছিল। পরে পুর্বাঞ্চলীয় লাইনের সাথে পশ্চিমাঞ্চলীয় লাইন (পূর্বে ট্রাম লাইন ছিল) যুক্ত করা হয়। এভাবে এই ব্যবস্থা মেট্রো পরিবহন হিসেবে গড়ে উঠেছে। বহিঃসংযোগ T-bane map Oslo T-bane at UrbanRail.Net Oslo T-banedrift Oslo Sporveier Fare and timetable information আরও দেখুন বিষয়শ্রেণী:নরওয়ের দ্রুতগামী গণপরিবহন ব্যবস্থা
অসলো টি-বেন
thumb|right|ইয়েকাতেরিনবুর্গ মেট্রোর দিনামো স্টেশন ইয়েকাতেরিনবার্গ মেট্রো () রাশিয়ার ইয়েকাতেরিনবুর্গ শহরকে সেবা প্রদানকারী দ্রুতগামী গণপরিবহন ব্যবস্থা। মেট্রোটি ১৯৯১ সালের ২৬শে এপ্রিল চালু হয়। এটি প্রাক্তন সোভিয়েত ইউনিয়নের ত্রয়োদশ এবং সর্বশেষ নির্মিত পাতালরেল ব্যবস্থা। এটির রেলপথের মোট দৈর্ঘ্য । এটিতে ৯টি বিরতিস্থল বা স্টেশন আছে এবং প্রতিদিন প্রায় ১ লক্ষ ৩০ হাজার যাত্রী এটি ব্যবহার করেন। তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:রাশিয়ার দ্রুতগামী গণপরিবহন ব্যবস্থা
ইয়েকাতেরিনবুর্গ মেট্রো