text
stringlengths
11
126k
title
stringlengths
1
182
ঘটনাবলী ১৫৮০ - স্যার ফ্রান্সিস ড্রেক তার সমুদ্র-পথে বিশ্ব-ভ্রমণ সমাপ্ত করে ইংল্যান্ডে ফিরে আসেন। ১৭৭৭ - ব্রিটিশ বাহিনী ফিলাডেলফিয়া ও পেনসিলভানিয়া দখল করে। ১৮৪১ - ব্রুনেইর সুলতান সারাওয়াকা দ্বীপ ব্রিটেনের কাছে ছেড়ে দেন। ১৮৮৭ - এমিল বার্লিনার নামে একজন জার্মান অভিবাসী আমেরিকায় প্রথম কথা বলা যন্ত্র [গ্রামোফোন] পেটেন্ট করেন। ১৯০৭ - নিউজিল্যান্ড বৃটেনের কাছ থেকে স্বাধীনতা অর্জন করে। ১৯৩২ - মহাত্মা গান্ধী এবং বি আর আম্বেদকর পুনা চুক্তিতে সম্মত হন। ১৯৪২ - ভারতে বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ (সিএসআইআর) প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৫০ - জাতিসংঘ বাহিনী উত্তর কোরিয়ার কাছ থেকে সিউ পুনর্দখল করে। ১৯৫০ - ইন্দোনেশিয়া জাতিসংঘের অন্তর্ভুক্ত হয়। ১৯৫৯ - জাপানের হনসুতে দু দিনব্যাপী টাইফুনে সাড়ে চার হাজার লোকের প্রাণহানি ঘটে। ১৯৬০ - সিকাগোতে প্রথম টেলিভিশন বিতর্ক হয়েছিল দুজন প্রেসিডেন্ট প্রার্থী রিচার্ড নিক্সন ও জন এফ কেনেডির মধ্যে। ১৯৬০ - ফিদেল কাস্ত্রো ইউএসআর-এর প্রতি কিউবার সমর্থন জানান। ১৯৬২ - উত্তর ইয়েমেনের রাজতন্ত্রী ব্যবস্থাকে অকার্যকর ঘোষণা করা হয় । ১৯৬৮ - সুইজারল্যান্ড জাতিসংঘে যোগদান করে। ১৯৭৩ - কনকর্ড বিমান রেকর্ড সময়ে কোথাও না-থেমে আটলান্টিক মহাসাগর পাড়ি দেয়। জন্ম ১৭৭৪ - জনি আপেলসীড, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একজন রোল মডেল পরিবেশবিদ। ১৮২০ - ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, উনিশ শতকের বিশিষ্ট বাঙালি শিক্ষাবিদ, সমাজ সংস্কারক ও গদ্যকার। ১৮৭৬ - গোলাম ভিক নৈরাগ, ভারতীয় মুসলিম রাজনীতিবিদ ও কবি। ১৮৭৭ - এডমুন্ড গোয়েন, ইংরেজ অভিনেতা। (মৃ. ১৯৫৯) ১৮৮৮ - টি এস এলিয়ট, ইংরেজ কবি ও সাহিত্যিক।(মৃ.০৪/০১/১৯৬৫) ১৮৮৯ - মার্টিন হাইডেগার, জার্মান দার্শনিক।(মৃ.২৬/০৫/১৯৭৬) ১৯০৩ - বাঙালি চলচ্চিত্র পরিচালক, গীতিকার, সঙ্গীতকার,গল্পকার,ঔপন্যাসিক ও অভিনেতা হীরেন বসু(মৃ.১৮/০৬/১৯৮৭) ১৯১০ - পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার তেভাগা আন্দোলনের অন্যতম নেতা কংসারী হালদার ১৯২৩ - দেব আনন্দ, ভারতীয় চলচ্চিত্র অভিনেতা ও পরিচালক। ১৯২৬ - আবদুর রহমান বিশ্বাস, বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি। ১৯৩২ - মনমোহন সিং, ভারতীয় রাজনীতিবিদ ও ১৪শ প্রধানমন্ত্রী। ১৯৩৬ - উইনি ম্যান্ডেলা, দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদ বিরোধী নেত্রী ও জাতীয় কংগ্রেসের মহিলা শাখার প্রধান। ১৯৪৩ - ইয়ান চ্যাপেল, অস্ট্রেলিয় ক্রিকেটার ও সাবেক অধিনায়ক। ১৯৮১ - সেরিনা উইলিয়ামস, মার্কিন টেনিস খেলোয়াড়। মৃত্যু ১৮৯৫ - যোগীরাজ শ্যামাচরণ লাহিড়ী বা লাহিড়ী মহাশয় ভারতীয় যোগী ও গুরু । (জ.৩০/০৯/১৮২৮) ১৯৫৯ - সলোমন বন্দরনায়েক, শ্রীলঙ্কার সাবেক প্রধানমন্ত্রী। ১৯৭৭ - বিশ্ব বন্দিত ভারতীয় নৃত্যশিল্পী ও নৃত্য পরিকল্পক উদয় শঙ্কর প্রয়াত হন । (জন্ম ০৮/১২/১৯০০) ১৯৮২ - চিত্রশিল্পী নীরদ মজুমদারের মৃত্যু। ১৯৮৯ - হেমন্ত মুখোপাধ্যায়,বাংলার খ্যাতিমান কণ্ঠসঙ্গীত শিল্পী,সুরকার,সঙ্গীত পরিচালক এবং প্রযোজক। তিনি হিন্দি সঙ্গীত জগতে হেমন্তকুমার নামে প্রসিদ্ধ।(জ.১৬/০৬/১৯২০) ১৯৯০ - আলবার্টো মোরাভিয়া, ইতালীর খ্যাতনামা উপন্যাসিক। ছুটি ও অন্যান্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন ভূক্ত দেশগুলো ইউরোপীয়ান ভাষা দিবস পালন করে। বহিঃসংযোগ বিষয়শ্রেণী:গ্রেগরীয় পঞ্জিকার দিন বিষয়শ্রেণী:সেপ্টেম্বর বিষয়শ্রেণী:অসম্পূর্ণ দিনতারিখ
২৬ সেপ্টেম্বর
ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বলতে বোঝানো হতে পারে: ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ফরাসি ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ওলন্দাজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি
ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি (দ্ব্যর্থতা নিরসন)
মিনিট সময় বা কোণের একক। সময়ের একক হিসেবে মিনিট হল এক ঘণ্টার ১/৬০ অংশ এবং ৬০ সেকেন্ড। কোনো কোনো মিনিট ৬১ বা ৫৯ সেকেন্ডও হতে পারে (যখন লিপ ইয়ারের প্রতিপূরণ করার জন্যে লিপ সেকন্ড যোগ বা বিয়োগের প্রয়োজন হয়)। কোণের একক হিসেবে মিনিটের চাপ হল এক ডিগ্রির ১/৬০ অংশ বা চাপের ৬০ সেকেন্ড। যদিও এসআই পদ্ধতিতে মিনিটি সময় বা কোণের একক নয়, এটি দুই ক্ষেত্রেই এসআই পদ্ধতিতে ব্যবহারের জন্য গৃহীত হয়ে থাকে। ঐতিহাসিকভাবে, মিনিট শব্দটি এসেছে লাতিন 'পারস মিনুটা প্রইমা', যার অর্থ, 'প্রথম ক্ষুদ্র অংশ'। তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ বিষয়শ্রেণী:সময়ের একক
মিনিট
রসায়ন ও পদার্থ বিদ্যায় কোনো পরমাণুর কেন্দ্রে প্রোটনের সংখ্যাকে পারমানবিক সংখ্যা বলে। আধান নিরপেক্ষ পরমাণুতে ইলেকট্রন-এর সংখ্যাও পারমাণবিক সংখ্যার সমান। পারমাণবিক সংখ্যা অনন্যভাবে একটি মৌলিক পদার্থকে চিহ্নিত করে। নিউক্লিয়াসের ধনাত্মক চার্জের সংখ্যা এবং পারমাণবিক সংখ্যা সমান থাকে। প্রোটনের ভর ও নিউট্রনের ভর প্রায় সমান বলে তাদের সমষ্টি অর্থাৎ পরমাণুর ভর সংখ্যাকেই পারমাণবিক ভর হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ভর সংখ্যা হল নিউক্লিয়াসে প্রোটন ও নিউট্রনের মোট সংখ্যা যাকে A দিয়ে প্রকাশ করা হয়। সংক্ষিপ্ত ইতিহাসঃ বিজ্ঞানী মোসলে ১৯১৩ সালে বিভিন্ন মৌলের রঞ্জন রশ্মি-বর্ণালী পরীক্ষা করে দেখেন যে, প্রত্যেক মৌলের বৈশিষ্ট্যগুলোকে একটা সংখ্যা দিয়ে প্রকাশ করা যায়, এবং এটা পারমাণবিক ভরের প্রায় অর্ধেক। এখানে বলে রাখা ভাল যে, পারমাণবিক সংখ্যার ধারণার পুর্বেই বিজ্ঞানীগণ পারমাণবিক ভরের সম্বন্ধে ধারণা রাখতেন। যা হোক, মোসলে এই সংখ্যাটির নাম দেন পারমাণবিক সংখ্যা (Atomic Number)। পরবর্তিতে দেখা গেল যে, এ সংখ্যাটি পরমাণুর নিউক্লিয়াস এ উপস্থিত প্রোটন সংখ্যা (বা নিউক্লিয়াসে উপস্থিত ধনাত্বক চার্জ) এর সমান। পরমাণুর নিউক্লিয়াসের একটি গুরুত্বপুর্ণ বৈশিষ্ট্য হল এর প্রোটন সংখ্যা। পারমাণবিক সংখ্যাঃ কোন মৌলের পরমাণুর নিউক্লিয়াসে উপস্থিত প্রোটন সংখ্যাকে মৌলটির পারমাণবিক সংখ্যা বলে। পারমাণবিক সংখ্যা একটি মৌলের বৈশিষ্ট্যসূচক ধর্ম। পারমাণবিক সংখ্যাকে Z অথবা at. no দ্বারা প্রকাশ করা হয়। পারমানবিক সংখ্যার বৈশিষ্ট্যঃ দুটি মৌলের পারমাণবিক ধর্ম কখনো এক হতে পারে না। মৌলের ধর্ম এর পারমাণবিক সংখ্যার উপর নির্ভর করে। রাসায়নিক বিক্রিয়ার আগে ও পরে এই পারমাণবিক সংখ্যার কোন পরিবর্তন হবে না। তড়িৎ নিরপেক্ষ পরমাণুতে, মানে যখন পরমাণুটি আয়নে পরিণত হয়ে যায় নি, তখন প্রোটন সংখ্যা আর ইলেক্ট্রন সংখ্যা সমান থাকে। কিন্তু আয়নে পরিণত হলে, প্রোটন আর ইলেক্ট্রনের সংখ্যা আর সমান থাকে না। উদাহরণঃ সোডিয়ামের নিউক্লিয়াসে মোট 11 টা প্রোটন উপস্থিত। তাই সোডিয়ামের পারমাণবিক সংখ্যা 11। একই ভাবে, Mg, Cl, Ca, U- এইগুলার পারমাণবিক সংখ্যা যাথাক্রমে 12, 17, 20, 92। বিষয়শ্রেণী:রসায়ন বিষয়শ্রেণী:পারমাণবিক পদার্থবিজ্ঞান
পারমাণবিক সংখ্যা
বুধ বলতে বোঝানো হতে পারে - বুধবার - সপ্তাহের একটি বারের বাংলা নাম; বুধ গ্রহ - সৌরজগতের একটি গ্রহ।
বুধ (দ্ব্যর্থতা নিরসন)
সুদান আফ্রিকা মহাদেশের উত্তরাঞ্চলের একটি রাষ্ট্র। এর রাজধানীর নাম খার্তুম। সরকারী ভাবে এর নাম সুদান প্রজাতন্ত্র (English: Republic of the Sudan)। এটি এলাকার দিক থেকে আফ্রিকার বৃহত্তম দেশ। এর উত্তরে মিশর, উত্তর-পূর্বে লোহিত সাগর, পূর্বে ইরিত্রিয়া ও ইথিওপিয়া,দক্ষিণে দক্ষিণ সুদান,দক্ষিণ-পূর্বে কেনিয়া ও উগান্ডা ,দক্ষিণ-পশ্চিমে গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্র ও সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক, পশ্চিমে চাদ এবং উত্তর-পশ্চিমে লিবিয়া অবস্থিত। সুদান পৃথিবীর সবচেয়ে অন্তর্দন্দ্ববহুল দেশগুলোর অন্যতম। এর উত্তরাঞ্চলের অর্থনৈতিক ভাবে অগ্রসর এলাকার অধিকাংশ মানুষ মুসলিম। দক্ষিণাঞ্চলের অনগ্রসর এলাকার অধিবাসীদের অধিকাংশই অমুসলিম। সাংস্কৃতিক, ধর্মীয়, অর্থনৈতিক, ও রাজনৈতিক বিভাজন ও মতবিরোধের ফলে সুদানে আধুনিক কালের সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধ অব্যাহত রয়েছে। ইতিহাস ৬০ হাজার বছর আগেও সুদানে মানব বসতি ছিল। প্রততাত্ত্বিক নিদর্শন থেকে এমনই প্রমাণ মেলে। প্রায় আট হাজার বছর আগে এ অঞ্চলে স্থায়ীভাবে মানববসতি শুরু হয়। তারা গৃহে পশুপালন করত, শস্য ফলাতো ও মাছ ধরত। প্রাচীনকাল থেকেই সুদানের সাথে মিসরের শক্তিশালী ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক বন্ধন ছিল। সুদানে তখন সবচেয়ে সমৃদ্ধ রাজ্য ছিল ‘কুশ’। কুশের রাজধানী ছিল ‘নাপাটা’। ৭৫০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে কুশ রাজা কাস্তা মিসর দখল করে নেন। পরে তার উত্তরাধিকারীরা ওই অঞ্চলে প্রায় ২০০ বছর কুশ সাম্রাজ্য টিকিয়ে রাখে। ৬৬৩ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে সর্বশেষ কুশ রাজা মিসর থেকে রাজত্ব গুটিয়ে নাপাটে ফিরে আসেন।  ৫৯০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে এক মিসরীয় সেনা নাপাটার পতন ঘটান। তিনি সেখানে মিসর থেকে পৃথক মেরোটিক সাম্রাজ্য গড়ে তোলেন। খ্রিষ্টপূর্ব দ্বিতীয় শতক পর্যন্ত তা টিকে ছিল। মিসর থেকে পৃথক সাম্রাজ্য গড়ে তোলা হলেও মেরোটিক শাসকদের মধ্যে ফেরউন শাসকদের বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান ছিল। মেরোটিকরাও পিরামিড নির্মাণ করেছিল। ষষ্ঠ শতকে নুবিয়ানরা নীল নদের পশ্চিম তীরে আধিপত্য বিস্তার করে। এ সময় তারা মেরোটিকদের সাথে যৌথ জাতিসত্তা গড়ে তোলে।  খ্রিষ্টান ও ইসলাম ধর্মের প্রসার : ষষ্ঠ শতকে মেরোটিক রাজ্যের তিনটি প্রদেশে রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অভ্যুত্থান ঘটে। আনুমানিক ৫৪০ খ্রিষ্টাব্দে বাইজানটাইন সম্রাজ্ঞী থিওডোরা নুবিয়াতে একদল মিশনারি পাঠান। এর মাধ্যমেই সেখানে খ্রিষ্টান ধর্মের প্রসার ঘটে।   আরব বিজয়ীরা নুবিয়াতে বহুবার সেনা অভিযান পরিচালনা করে ব্যর্থ হয়। শেষ পর্যন্ত মিসরের আরব প্রধান নুবিয়ানদের সাথে একটি চুক্তি করেন। এ চুক্তি-পরবর্তী ৬৮৭ বছর টিকে ছিল। এ সময় দুই অঞ্চলের মধ্যে যোগাযোগ অনেক বেড়ে যায়। পারস্পরিক বিবাহ, আরব বণিক ও বসতি স্থাপনকারীদের মাধ্যমে সেখানে ধীরে ধীরে ইসলাম ধর্মের প্রসার ঘটে। ১০৯৩ সালে সর্বপ্রথম একজন মুসলিম শাসক নুবিয়ার ক্ষমতায় আসেন।  পঞ্চদশ শতকে এ অঞ্চলে ফাঞ্জ সালতানাত প্রতিষ্ঠিত হয়। ষোড়শ শতকে এর আরো বিস্তৃতি ঘটে। তবে ধীরে ধীরে এ সালতানাত দুর্বল হতে থাকে। ১৮২০ সালে মিসরের রাজা মুহাম্মদ আলি সুদান দখলের জন্য প্রায় চার হাজার সেনা পাঠান। এতে দুর্বল ফাঞ্জ সালতানাতের পতন ঘটে। আত্মসমর্পণ করেন শেষ ফাঞ্জ শাসক সপ্তম বাদি। আধুনিক মিসরীয় ইউনিয়ন ১৮২০ সালে মিসরের ওসমানীয় শাসক মুহাম্মদ আলি পাশা সুদান দখল করেন। নামেমাত্র ওসমানীয়দের অধীনে থাকলেও পাশা মূলত নিজেকে মিসরের স্বাধীন শাসক হিসেবেই প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। পাশা তার ছেলে ইসমাইলকে সুদান শাসনের দায়িত্ব দেন। ইসমাইল ও তার পরবর্তী শাসকরা সুদানে বহু অবকাঠামো গড়ে তোলেন। ১৮৭৯ সালে ইসমাইল পদত্যাগে বাধ্য হন এবং ইসমাইলের ছেলে প্রথম তৌফিক বাবার স্থলাভিষিক্ত হন। তবে তৌফিকের দুর্নীতির কারণে সেখানে অল্প দিনের মধ্যেই একটি বিপ্লব হয়। তৌফিক ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে ব্রিটিশদের সাহায্য কামনা করেন। এ সুযোগে ব্রিটিশরা ১৮৮২ সালে মিসর দখল করে নেয়। স্বাভাবিকভাবে সুদানও ব্রিটিশদের দখলে চলে আসে। তখন শুরু হয় ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন। এতে নেতৃত্ব দেন মুহাম্মদ আহমদ ইবনে আবদ আল্লাহ। ১৮৮৫ সালে সুদানে ব্রিটিশ গভর্নর জেনারেল গর্ডনের পতন হয়। সুদান থেকে প্রত্যাহার করা হয় মিসরীয় ও ব্রিটিশ সৈন্য। আবদ আল্লাহর শাসন জিহাদি চেতনায় জনগণকে সংগঠিত করলেও বিপ্লবের পর তিনি দেশটিতে কোনো ইসলামি আইন চালু করেননি। তার উদ্দেশ্য ছিল অনেকটা রাজনৈতিক। তিনি ছিলেন এক ধরনের সামরিক শাসক। তবে ক্ষমতায় আরোহণের মাত্র ছয় মাসের মধ্যে তিনি মারা যান। এরপর ক্ষমতায় আসেন আবদুল্লাহ ইবনে মুহাম্মদ। তিনি নিজেকে খলিফা ঘোষণা করেন। এ খলিফার শাসনও ছিল স্বৈরাচারীর মতো। তার নির্দেশে ১৮৮৭ সালে প্রায় ৬০ হাজার সৈন্য ইথিওপিয়ায় অভিযান চালায়। ১৮৮৯ সালে তারা মিসরেও অভিযান চালায়। তবে মিসর অভিযানে পরাজিত হয় তারা। ব্রিটিশ বাহিনীর নেতৃত্বাধীন মিসরীয়রা হটিয়ে দেয় সুদানিদের। ১৮৯৩ সালে বেলজিয়ান ও ইতালিয়ানরা ইথিওপিয়া থেকে সুদানিদের হটাতে সহায়তা করে। ইঙ্গ-মিসরীয় সুদান ১৮৯০ সালে ব্রিটিশরা সুদানে আধিপত্য পুনঃপ্রতিষ্ঠার চেষ্টা করে। বহু চেষ্টার পর ব্রিটিশরা ১৮৯৯ সালে ইঙ্গ-মিসরীয় সুদান প্রতিষ্ঠা করে। এর ফলে সুদান শাসনের ভার এক মিসরীয় গভর্নরের হাতে ন্যস্ত হয়। ব্রিটিশ সরকারের পরামর্শে এ গভর্নর নিয়োগ করা হতো। সুদান এ সময় মূলত ব্রিটিশ কলোনি হিসেবে পরিচিত ছিল। ১৯২৪ থেকে ১৯৫৬ সাল পর্যন্ত ব্রিটিশরা সুদানকে দু’টি ভাগে ভাগ করে শাসন করত। দেশটির উত্তরাঞ্চলে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানদের এবং দক্ষিণাঞ্চলে খ্রিষ্টানদের আধিপত্য টিকিয়ে রেখে। ১৯৫৬ সালে সুদান ব্রিটিশদের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ করে। স্বাধীনতা ও গৃহযুদ্ধ ব্রিটিশ শাসনের শুরু থেকেই মিসরীয়রা দাবি করতে থাকে, মিসর ও সুদান এক রাষ্ট্র হবে। কিন্তু মিসরীয়রা শেষ পর্যন্ত উপলব্ধি করে, সুদানের ওপর মিসরীয় সার্বভৌমত্ব দাবি বাতিল না করলে ব্রিটিশরা স্বাধীনতাকে বিলম্বিত করবে। এ উপলব্ধির পর ১৯৫৪ সালে মিসরীয়রা ব্রিটিশদের সাথে একটি চুক্তি করে। ওই চুক্তি অনুসারে ১৯৫৬ সালের ১ জানুয়ারি সুদান স্বাধীনতা লাভ করে। ইসমাইল আল আজহারি সুদানের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ও আধুনিক সুদানের প্রথম সরকারের নেতৃত্ব দেন। তবে স্বাধীনতার এক বছর আগে ১৯৫৫ সালে দেশটিতে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়। খ্রিষ্টান অধ্যুষিত দক্ষিণাঞ্চলের আশঙ্কা, স্বাধীন সুদানে নেতৃত্ব দেবে উত্তরের মুসলমান জনগোষ্ঠী। কারণ উত্তরাঞ্চলের মুসলমানদের সাথে মিসরসহ আরব বিশ্বের সুসম্পর্ক রয়েছে। এ প্রেক্ষাপটে দুই অঞ্চলে দুই ধরনের প্রশাসন চালুর দাবি জানায় ব্রিটিশরা। ১৯৫৫ থেকে ১৯৭২ সাল পর্যন্ত দেশটিতে গৃহযুদ্ধ চলে। গৃহযুদ্ধ চলতে থাকলে স্বাধীনতার পরপরই একজন সামরিক কর্মকর্তা দেশটির ক্ষমতা দখল করেন। ১৯৭২ সালে এক চুক্তিতে দেশটিতে গৃহযুদ্ধের অবসান হলেও ১৯৮৩ সালেই আবার গৃহযুদ্ধ শুরু হয় দেশটিতে। সাম্প্রতিক ইতিহাস ১৯৮৯ সালের ৩০ জুন কর্নেল ওমর আল বশির একদল সামরিক কর্মকর্তার সমর্থন নিয়ে রক্তপাতহীন এক অভ্যুত্থান ঘটান। তিনি দেশটিতে সব ধরনের রাজনীতি নিষিদ্ধ করেন এবং ইসলামি আইন চালু করেন। ক্ষমতা দখলের পরপরই তিনি গেরিলাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করেন। ১৯৯৬ সালের ১৬ অক্টোবর তিনি নিজেকে সুদানের প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করেন। সে বছর দেশটিতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনও হয়। একমাত্র প্রার্থী ছিলেন তিনি নিজেই। এর পর থেকেই যুক্তরাষ্ট্র সুদানকে সন্ত্রাসী রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করে। প্রেসিডেন্ট বশির শান্তিপ্রক্রিয়াকে তরান্বিত করতে নানা পদক্ষেপ নেন। তিনি ২০০৫ সালের ৯ জানুয়ারি একটি চুক্তি করেন। চুক্তি অনুসারে চুক্তির পর থেকেই দক্ষিণাঞ্চল স্বায়ত্তশাসন ভোগ করবে এবং স্বাধীনতার জন্য ছয় বছর পর গণভোট হবে। কিন্তু চুক্তির পর দক্ষিণের এক নেতা বিমান দুর্ঘটনায় মারা গেলে দেশটিতে আবার গৃহযুদ্ধ শুরু হয়। ২০০৫ সালের ২৪ মার্চ দেশটিতে জাতিসঙ্ঘ শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েন করা হয়। তবে এ বাহিনী মোতায়েনের বিরোধিতা করেন প্রেসিডেন্ট বশির। দারফুর সমস্যা ১৯৭০ সালে দারফুরের পশ্চিমাঞ্চলে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। এ ঘটনার জন্য দক্ষিণাঞ্চলের বিদ্রোহীরা এবং দারফুরের জনতা কেন্দ্রীয় সরকারকে দায়ী করে। সরকার এ ঘটনা নিয়ন্ত্রণে সামরিক বাহিনী মোতায়েন করলে দারফুরের কয়েক লাখ লোক পার্শ্ববর্তী দেশ শাদে আশ্রয় নেয়। ১৯৯৪ সালে দারফুরে সরকারি বাহিনী বিজয় ঘোষণা করে। ২০০৪ সালে যুক্তরাষ্ট্র দারফুরে গণহত্যার অভিযোগ আনে। ২০০৬ সালের ৫ মে দারফুর শান্তিচুক্তি হয়। কিন্তু চুক্তির পরও সেখানে শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব হয়নি। সরকারপদ্ধতি সুদান জনপ্রতিনিধিত্বশীল প্রেসিডেন্সিয়াল যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির রাষ্ট্রপ্রধান, সরকারপ্রধান এবং সেনাপ্রধান হলেন প্রেসিডেন্ট। আইন প্রণয়নের ক্ষমতা সরকার ও নির্বাচিত দু’টি কক্ষের। বিচার বিভাগ স্বাধীন।  দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট ওমর আল বশির সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী। ১৯৮৯ সালে বিপ্লবের পর দেশটিতে নতুন আঙ্গিকে রাজনৈতিক ব্যবস্থা গড়ে ওঠে। ১৯৯৩ সালে সুদান একদলীয় সরকারের দেশে পরিণত হয়। সুদানে নিম্নকক্ষের সদস্য ৪৫০ জন এবং উচ্চকক্ষের সদস্য ৫০ জন। পররাষ্ট্রনীতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে তেমন ভালো সম্পর্ক নেই সুদানের। ১৯৯৩ সালে যুক্তরাষ্ট্র সুদানকে সন্ত্রাসী রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করে। আলকায়েদার ঘাঁটি রয়েছে সন্দেহে যুক্তরাষ্ট্র সুদানের রাজধানী খার্তুমে মিসাইল হামলা চালায়।  সুদানি তেলের অন্যতম গ্রাহক চীন। স্বাভাবিকভাবেই দেশটির সাথে ভালো সম্পর্ক রয়েছে সুদানের। তবে প্রতিবেশী দেশ শাদ ২০০৫ সালে সুদানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। ২০০৮ সালে সুদান শাদের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে। সামরিক শক্তি রাষ্ট্রের নিয়মিত বাহিনীর নাম ‘সুদানিস পিপলস আর্মড ফোর্সেস’। এর মোট সদস্য দুই লাখ। সেনা, নৌ, বিমান, সীমান্ত ও নিরাপত্তারক্ষী বাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত আর্মড ফোর্সেস বাহিনী। সুদানের এই বাহিনীটি অত্যন্ত দক্ষ। আইনব্যবস্থা দেশটির বিচারব্যবস্থা ইসলামি শরিয়াহ মোতাবেক পরিচালিত। ১৯৯১ সালের ২০ জানুয়ারি থেকে পুরো উত্তরাঞ্চলে শরিয়াহ আইন চালু করা হয়। তবে চুক্তি অনুসারে দক্ষিণাঞ্চলে এ ব্যবস্থা চালু হয়নি। ভৌগোলিক অবস্থান অবস্থানগত দিক থেকে দেশটির অবস্থান উত্তর আফ্রিকায়। লৌহিত সাগরের সাথে দেশটির ৮৫৩ কিলোমিটার উপকূল রয়েছে। আয়তনে আফ্রিকা মহাদেশে সবচেয়ে বড় ও বিশ্বে দশম সুদান। এর আয়তন ২৫ লাখ ৫ হাজার ৮১০ বর্গকিলোমিটার। সুদনের উত্তরে মিসর, পূর্বে ইথিওপিয়া ও ইরিত্রিয়া, দক্ষিণ-পূর্বে কেনিয়া ও উগান্ডা, দক্ষিণ-পশ্চিমে কঙ্গো ও মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র, পশ্চিমে শাদ ও উত্তর-পশ্চিমে লিবিয়া। এর বেশির ভাগ ভূমি সমতল। তবে দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে রয়েছে পর্বতমালা। পৃথিবীর দীর্ঘতম নদ নীলের একটি অংশ সুদানের রাজধানী খার্তুমের মধ্য দিয়ে অতিবাহিত হয়েছে।  সুদানের দক্ষিণাঞ্চলে বৃষ্টিপাত বেশি হয়। উত্তরে নুবিয়ান অঞ্চলে সামান্য মরুভূমি রয়েছে। তবে দেশটিতে মরুকরণ অব্যাহত রয়েছে। অর্থনীতি উচ্চ প্রবৃদ্ধি সত্ত্বেও সুদানের অর্থনীতিতে সমস্যা লেগেই আছে। ফলে আইএমএফ’র পরামর্শে ১৯৯৭ সালে সুদান সামষ্টিক অর্থনীতিতে সংস্কার কর্মসূচি গ্রহণ করে। ১৯৯৯ সালে দেশটি অপরিশোধিত তেল রফতানি শুরু করে। সে বছরই লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি রফতানি আয় সম্ভব হয়। তেল রফতানির ফলে ২০০৩ সালে দেশটিতে প্রবৃদ্ধির হার দাঁড়ায় ৬ দশমিক ১ শতাংশে।  বর্তমানে দেশটির প্রধান রফতানি পণ্য হচ্ছে তেল। আর দেশটিতে তেলের উৎপাদন দিন দিন নাটকীয়ভাবে বাড়ছে। তেল রফতানি বাড়ানোর ফলে ২০০৭ সালে সুদানের প্রবৃদ্ধির হার দাঁড়ায় ৯ শতাংশে। পেট্রোলিয়াম, প্রাকৃতিক গ্যাস, স্বর্ণ, সিলভার, ক্রোমি, অ্যাসবেস্টস, ম্যাঙ্গানিজ, জিপসাম, জিঙ্ক, লোহা, সীসা, ইউরেনিয়াম, কপার, কোবাল্ট, গ্রানাইট, নিকেল ও তামাসহ গুরুত্বপূর্ণ খনিজসম্পদে সমৃদ্ধ সুদান।  তবে দেশটির অর্থনীতির অন্যতম খাত হচ্ছে কৃষি। উৎপাদক শ্রেণীর ৮০ শতাংশই এ পেশায় নিয়োজিত। দেশের মোট জাতীয় আয়ের ৩৯ শতাংশের জোগান আসে কৃষি থেকে। কিন্তু সেচের ক্ষেত্রে এখনো সুদানিরা বেশির ভাগ সময় বৃষ্টির ওপর নির্ভরশীল। ধারাবাহিক অস্থিতিশীলতার কারণে কৃষিপণ্যের দাম এখানো খুব বেশি। যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও সুদানের অর্থনীতি বিশ্বের অন্যতম দ্রুত বিকাশমান অর্থনীতি। জনসাংখ্যিক তথ্য ১৯৯৩ সালের আদমশুমারি অনুসারে সুদানের জনসংখ্যা প্রায় আড়াই কোটি। ২০০৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের এক তথ্যে দেশটির জনসংখ্যা তিন কোটি ৭০ লাখ বলা হয়। সুদানের বহু মানুষ অন্য দেশগুলোতে বসতি স্থাপন করলেও বহু মানুষ আবার এ দেশেও বসতি স্থাপন করেছে। ২০০৮ সালের ওয়ার্ল্ড রিফিউজি সার্ভে অনুসারে ২০০৭ সাল পর্যন্ত সুদানে বসতি স্থাপনকারীর সংখ্যা তিন লাখ ১০ হাজার ৫০০ জন। তাদের বেশির ভাগ এসেছে প্রতিবেশী দেশ ইরিত্রিয়া, শাদ, ইথিওপিয়া ও মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র থেকে। এসব শরণার্থীকে জাতিসঙ্ঘ সাহায্য করতে চাইলে অসহযোগিতা করে সুদানি সরকার। উপজাতি সুদানে প্রায় ৫৯৭টি জাতির বসবাস করে। তারা প্রায় ৪০০ ভিন্ন ভাষায় কথা বলে। প্রধান জাতিগোষ্ঠী হচ্ছে আরবীয়। তাদের প্রায় সবাই মুসলমান। উত্তরাঞ্চলে তাদের বসবাস। কালো সুদানিদের বেশির ভাগই খ্রিষ্টান। তারা সাধারণত দক্ষিণাঞ্চলে বসবাস করে। এ দু’টি প্রধান জাতি আবার ছোট ছোট কয়েক শ’ উপজাতিতে বিভক্ত।  এ ছাড়া সুদানে রয়েছে মরক্কান, আলজেরিয়ান, ভাষাভাষী আরব, নুবিয়ান, মিসরীয় ইত্যাদি জাতিগোষ্ঠীর লোক। সুদানি আরবদের বেশির ভাগই ভাষাভাষী আরব, জাতিগত নয়। এ অঞ্চলের আদি অধিবাসী হচ্ছে নুবিয়ানরা। তাদের ইতিহাস মিসরীয়দের সাথে জড়িত। ভাষা সুদানের সরকারি ভাষা আরবি ও ইংরেজি। উত্তরাঞ্চলের প্রধান ভাষা আরবি। এ ছাড়া পূর্ব, পশ্চিম ও মধ্য সুদানেও আরবি প্রচলিত। তবে এসব এলাকায় উপজাতীয় ভাষাও প্রচলিত রয়েছে। সুদানের সব অঞ্চলেই শিক্ষিত উপজতীয়রা ইংরেজি ভাষা ব্যবহার করেন। সুদানে বর্তমানে দেশটিতে ১৩৩টি ভাষা টিকে আছে। ধর্ম দেশটির ৭০ শতাংশ জনগণই ইসলাম ধর্মাবলম্বী। আদিবাসী ২৫ শতাংশ ও মাত্র ৫ শতাংশ খ্রিষ্টান। এখানকার খ্রিষ্টানরা রোমান ক্যাথলিক চার্চের অনুসারী। সব মুসলমানই সুন্নি। তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ সুদানের সরকারি ওয়েবসাইট রাষ্ট্র প্রধান এবং মন্ত্রিপরিষদ সদসবৃন্দ প্রাচীন সুদান: নুবিয়া. Sudan from UCB Libraries GovPubs বিষয়শ্রেণী:আফ্রিকার রাষ্ট্র বিষয়শ্রেণী:সুদান বিষয়শ্রেণী:ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থার সদস্য রাষ্ট্র
সুদান
মতি নন্দী (১০ জুলাই ১৯৩১ - ৩ জানুয়ারি ২০১০) ছিলেন ভারতের কলকাতার একজন বাঙালি লেখক। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র মতি নন্দী ছিলেন মূলত ক্রীড়া সাংবাদিক এবং উপন্যাসিক ও শিশু সাহিত্যিক। তিনি আনন্দ পুরস্কার এবং সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার লাভ করেছেন। তার বিখ্যাত উপন্যাস 'কোনি'। জীবনী মতি নন্দী উত্তর কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। ক্রীড়া সাংবাদিক হিসাবে আনন্দবাজার পত্রিকায় কাজ করতেন। লস অ্যাঞ্জেলেস ও মস্কো অলিম্পিক, দিল্লি এশিয়ান গেমস কভার করেছেন তিনি। ক্রীড়ামূলক সাহিত্য রচনার পাশাপাশি বলিষ্ট উপন্যাস ও ছোটগল্প লিখেছেন তিনি। তিনি আনন্দ পুরষ্কা্রে সম্মানিত হন। দীর্ঘদিন আনন্দবাজার পত্রিকার ক্রীড়া সম্পাদক ছিলেন। কোনি, স্টপার, স্ট্রাইকার উপন্যাস বা কলাবতী সিরিজের পাশাপাশি সাদা খাম, গোলাপ বাগান, উভয়ত সম্পূর্ণ, আর বিজলীবালার মুক্তি ইত্যাদি উপন্যাস রচনা করেছেন মতি নন্দী। গ্রন্থ তালিকা উপন্যাস সাদা খাম (আনন্দ পাবলিকেশন) উভয়ত সম্পূর্ণ (আনন্দ পাবলিকেশন) গোলাপ বাগান (আনন্দ পাবলিকেশন) ছায়া (আনন্দ পাবলিকেশন) ছায়া সরণীতে রোহিণী (আনন্দ পাবলিকেশন) জীবন্ত (আনন্দ পাবলিকেশন) দুটি তিনটি ঘর (আনন্দ পাবলিকেশন) দ্বিতীয় ইনিংসের পর (আনন্দ পাবলিকেশন) দূরদৃষ্টি (আনন্দ পাবলিকেশন) পুবের জানালা (আনন্দ পাবলিকেশন) বনানীদের বাড়ি (আনন্দ পাবলিকেশন) বিজলীবালার মুক্তি (আনন্দ পাবলিকেশন) মালবিকা (আনন্দ পাবলিকেশন) শিবি (আনন্দ পাবলিকেশন) শোলোকে পনেরো করা (আনন্দ পাবলিকেশন) সহদেবের তাজমহল (আনন্দ পাবলিকেশন) সবাই যাচ্ছে (আনন্দ পাবলিকেশন) দশটি উপন্যাস (আনন্দ পাবলিকেশন) "নক্ষত্রের রাত (পুনশ্চ) বাওবাব (পুনশ্চ) দাদাশ বাকতি (পুনশ্চ) নায়কের প্রবেশ ও প্রস্থান (পুনশ্চ) "বারান্দা" "করুণাবাস্ততা" "ছোটবাবু" ছোটদের জন্য লেখা কোনি(আনন্দ পাবলিকেশন) অলৌকিক দিলু(আনন্দ পাবলিকেশন) স্টপার(আনন্দ পাবলিকেশন) স্ট্রাইকার(আনন্দ পাবলিকেশন) কুড়ন(আনন্দ পাবলিকেশন) জীবন অনন্ত(আনন্দ পাবলিকেশন) নারান(আনন্দ পাবলিকেশন) ফেরারি(আনন্দ পাবলিকেশন) তুলসী(আনন্দ পাবলিকেশন) দলবদলের আগে(আনন্দ পাবলিকেশন) মিনু চিনুর ট্রফি(আনন্দ পাবলিকেশন) এমপিয়ারিং ধানকুড়ির কিংকং(আনন্দ পাবলিকেশন) বিশ্ব-জোড়া বিশ্বকাপ(আনন্দ পাবলিকেশন) বুড়ো ঘোড়া(আনন্দ পাবলিকেশন) দৃষ্টি কিশোর উপন্যাস(আনন্দ পাবলিকেশন) ক্রিকেটের আইন কানুন(আনন্দ পাবলিকেশন) ভুলি(গাঙচিল) শিবা(আনন্দ পাবলিকেশন) দশটি কিশোর উপন্যাস ননিদা নট আউট স্ট্রাইকার স্টপার অপরাজিত আনন্দ দলবদলের আগে ফেরারি আম্পায়ারিং তুলসী নারান মিনু চিনুর ট্রফি কলাবতী সিরিজ কলাবতী কলাবতীদের ডায়েট চার্ট কলাবতীর দেখা শোনা কলাবতী ও খয়েরি ভূতের বাসায় কলাবতী কলাবতী, অপুর মা ও পাঁচু কলাবতী ও মিলেনিয়াম ম্যাচ কলাবতীর শক্তিশেল সিনেমা ১৯৭৮ সালে তার উপন্যাস অবলম্বনে অর্চন চক্রবর্তীর পরিচালনায় স্ট্রাইকার চলচ্চিত্রটি নির্মিত হয়। এই ছবিতে মূল চরিত্রে অভিনয় করেন সমিত ভঞ্জ। ১৯৮৬ সালে সরোজ দে পরিচালিত এবং সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় ও শ্রীপর্ণা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিনীত 'কোনি' চলচ্চিত্রটি মতি নন্দীর একই নামের বাংলা উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত। এছাড়াও তার "জলের ঘূর্ণি ও বকবক শব্দ" গল্প অবলম্বনে বাংলাদেশি চলচ্চিত্র নির্মাতা অনিমেষ আইচ ২০১৭ সালে ভয়ংকর সুন্দর ছবিটি নির্মাণ করেন। পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় এবং আশনা হাবিব ভাবনা এ ছবিতে মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেন। পুরস্কার ও সম্মাননা আনন্দ পুরস্কার সাহিত্য অকাদেমি তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:বাঙালি লেখক বিষয়শ্রেণী:সাহিত্য অকাদেমী পুরস্কার বিজয়ী বিষয়শ্রেণী:১৯৩১-এ জন্ম বিষয়শ্রেণী:২০১০-এ মৃত্যু
মতি নন্দী
ফারাক্কা বাঁধ গঙ্গা নদীর উপর অবস্থিত একটি বাঁধ। ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মালদহ ও মুর্শিদাবাদ জেলায় এই বাঁধটি অবস্থিত। ১৯৬১ সালে এই বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু হয়। শেষ হয় ১৯৭৫ সালে। সেই বছর ২১ এপ্রিল থেকে বাঁধ চালু হয়। ফারাক্কা বাঁধ লম্বা যেটা প্রায় এক বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে সোভিয়েত রাশিয়ার সহায়তায় বানানো হয়েছিল। বাঁধ থেকে ভাগীরথী-হুগলি নদী পর্যন্ত ফিডার খালটির দৈর্ঘ্য । ১৯৫০ ও ১৯৬০-এর দশকে কলকাতা বন্দরের কাছে হুগলি নদীতে পলি জমা একটা বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। এই পলি ধুয়ে পরিষ্কার করার জন্য ফারাক্কা বাঁধ তৈরি করা হয়। শুখা মরসুমে (জানুয়ারি থেকে জুন) ফারাক্কা বাঁধ গঙ্গার জল হুগলি নদীর অভিমুখে চালিত করে। হিন্দুস্তান কনস্ট্রাকশন কোম্পানি বাঁধটি তৈরি করে। বাঁধটিতে মোট ১০৯টি গেট রয়েছে। ফারাক্কা সুপার তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জল এই বাঁধ থেকেই সরবরাহ করা হয়। এই বাঁধের উপর দিয়ে গিয়েছে ৩৪নং জাতীয় সড়ক ও রেলপথ। যা কেবল উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গকেই নয়, ভারতের উত্তরপূর্ব অংশকে বাকী ভারতের সঙ্গে জুড়ে রাখতে বড় ভূমিকা পালন করে। এই বাঁধের মূখ্য উদ্দেশ্য ছিল জলের অভাবে হারিয়ে যেতে বসা গঙ্গার শাখানদী ভাগীরথীকে পুনরায় গঙ্গার জলে পুষ্ট করে, দিন দিন ন‍ব‍্যতা হারিয়ে যাওয়া কলকাতা বন্দরকে পূর্বারূপে কার্যক্ষম করে তোলা। বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণে অবস্থিত হলদিয়া বন্দর থেকে উত্তরপ্রদেশের বেনারস অবধি অংশকে ভারতীয় জাতীয় জলপথ-১ এর স্বীকৃতি দিয়েছেন। ফারাক্কা বাঁধ ভারত তৈরি করে কলকাতা বন্দরকে পলি জমা থেকে রক্ষা করার জন্য। তৎকালীন বিভিন্ন সমীক্ষায় বিশেষজ্ঞরা অভিমত প্রকাশ করেন যে গঙ্গা/পদ্মার মত বিশাল নদীর গতি বাঁধ দিয়ে বিঘ্নিত করলে নদীর উজান এবং ভাটি উভয় অঞ্চলে প্রাকৃতিক ভারসাম্য মারাত্মকভাবে নষ্ট হতে পারে। এ ধরনের নেতিবাচক অভিমত সত্ত্বেও ভারত সরকার ফারাক্কায় গঙ্গার উপর বাঁধ নির্মাণ ও হুগলী-ভাগরথীতে সংযোগ দেয়ার জন্য ফিডার খালখননের পরিকল্পনােও কাজ শুরু করে । পরবর্তীতে যা মূলত বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ , বিহার রাজ্যে ব্যাপক পরিবেশ বিপর্যয় ডেকে আনে । এটি প্রায় ১৮ কি.মি লম্বা এবং মনহরপুরে অবস্থিত। ইতিহাস ব্রিটিশ সরকার পলি সঞ্চয়ের কারণে কলকাতা বন্দরে জাহাজ ভিড়ানোর অসুবিধা লক্ষ্য করছিলেন। কারণ হুগলী-ভাগরথী নদী ক্রমশঃ নাব্যতা হারাচ্ছিল। ১৮৫১ সাল থেকে ১৯৪৬ সাল অবধি কমপক্ষে পাঁচটি সমীক্ষা করা হয়েছে কিভাবে গঙ্গার পানির এক অংশ ঘুরিয়ে হুগলী-ভাগরথীতে প্রবাহিত করে পলি অপসারণ করা যায়। তৎকালীন ভারতের পশ্চিম বঙ্গের তদানীন্তন চীফ ইঞ্জিনিয়ার শ্রী কপিল ভট্টাচার্য এই পরিকল্পনার বিরোধিতা করে নিম্নরূপ অভিমত প্রকাশ করেন। গঙ্গা থেকে অপসারিত ৪০,০০০ কিউসেক পানি ফিডার খাল কিম্বা হুগলী-ভাগরথী ধারণ করতে পারবে না। গঙ্গা এবং ভাগরথীর প্রবাহ রেখার উচ্চতার তারতম্যের কারণে পানি সঞ্চালন কষ্টকর হবে। ফলে গঙ্গা নদী তার স্বাভাবিক প্রবাহের জন্য অন্য পথ খুঁজবে। প্রথমোক্ত কারণের জন্য মুর্শিদাবাদ এবং মালদা জেলা জুড়ে দেখা দিবে জলাবদ্ধতা। ব্রক্ষপুত্রের তুলনায় গঙ্গা কম গতি শক্তি সম্পন্ন নদী। এ ধরনের নদীর গতিপথ হয় আঁকা-বাঁকা (meandering)। এক বাঁক থেকে আরেক বাঁকের দূরত্বকে বলে মিয়ান্ডার দৈর্ঘ্য এবং একটি নির্দিষ্ট দূরত্বের মধ্যে কয়টা বাঁক রয়েছে তাকে বলে মিয়ান্ডার ফ্রিকোয়েন্সি। হঠাৎ করে মৃতপ্রায় হুগলী-ভাগরথীর মধ্য দিয়ে কৃত্রিমভাবে বিপুল পরিমাণে পানি প্রবাহিত করলে হুগলী-ভাগরথী ও উজানে বিহার অবধি সব নদীর মিয়ান্ডার ফ্রিকোয়েন্সির উপর বিরূপ প্রভাব পড়বে। ফলে ঐ সমস্ত নদীতে জলাবদ্ধতা, নদী ভাঙ্গন এবং চর সৃষ্টি তরান্বিত হবে। ভাটি অঞ্চলের সকল নদীর নাব্যতা মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হবে। শুষ্ক মওসুমে পানি প্রবাহ কম হওয়ার কারণে জলবায়ুর পরিবর্তন দেখা দিবে। ভারতের একতরফা গঙ্গার জল সরাবার কারণে যে শুধু বাংলাদেশের পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে তা নয়; বরং এর ফলে বাংলাদেশের কৃষি, শিল্প, বন ও নৌ-পরিবহন ব্যাবস্থা ব্যাপক বিপর্যয়ের সম্মুখীন হচ্ছে। এ বিষয়টি প্রথম আলোচনায় আসে ২৯ অক্টোবর, ১৯৫১ সালে তখন তৎকালীন পাকিস্তান সরকার গ্রীষ্মকালে গঙ্গা নদী হতে বিপুল পরিমাণ পানি পশ্চিমবঙ্গের ভাগীরথী নদী পুনরুজ্জীবিত করার জন্য অপসারণ করার ভারতীয় পরিকল্পনার দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করে। ভারত জবাব দেয় তাদের এই পরিকল্পনা প্রাথমিক পর্যায়ে আছে এবং এর ফলাফল সম্পর্কে পাকিস্তানি উদ্যেগ শুধু মাত্র তত্ত্বীয় ব্যাপার। সেই থেকে গঙ্গার পানি বণ্টন নিয়ে লম্বা আলাপ-আলোচনার জন্ম দেয়। ১৯৭০ সাল পর্যন্ত ভারত-পাকিস্তান এই বিষয় নিয়ে বিভিন্ন পর্যায়ে অনেক আলোচনা করে। কিন্তু এই আলোচনা যখন চলছিল তখন ভারত ফারাক্কা বাঁধের নির্মাণ কাজ অব্যহত রাখে এবং ১৯৭০ সালে এর কাজ সমাপ্ত করে। এ বাঁধ বাংলাদেশ-ভারত সিমান্ত হতে ভারতের প্রায় ১৮ কিলোমিটার অভ্যন্তরে অবস্থিত। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর গঙ্গার জল বণ্টন নিয়ে ভারতের সাথে আলোচনা শুরু করে।১৯৭৪ সালের ১৬ মে বাংলাদেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী ফারাক্কা পয়েন্টে গঙ্গার পানি বণ্টন বিষয়ে এক যৌথ বিবৃতি দেন। এই সম্মেলনে এ সিদ্ধান্ত হয় যে, উভয় দেশ একটি চুক্তিতে আসার আগে ভারত ফারাক্কা বাঁধ চালু করবে না। যদিও বাঁধের একটি অংশ পরীক্ষা করার জন্য বাংলাদেশ সরকার ১৯৭৫ সালে দশ (২১ এপ্রিল ১৯৭৫ থেকে ২১ মে ১৯৭৫) দিনের জন্য ভারতকে গঙ্গা হতে ৩১০-৪৫০ কিউসেক পানি অপসারণ করার অনুমতি দেয়। কিন্তু ভারত ১৯৭৬ সালের শুষ্ক মৌসুম পর্যন্ত গঙ্গা নদী হতে ১১৩০ কিউসেক পানি অপসারণ করে পশ্চিমবঙ্গের ভাগরথি-হুগলি নদীতে প্রবাহিত করে। বিভিন্ন সময়ের জলবন্টন চুক্তি ভারতকে পানি অপসারণে বিরত রাখতে ব্যর্থ হয়ে, বাংলাদেশ এই বিষয়টি জাতিসংঘে উপস্থাপন করে। ২৬ নভেম্বর ১৯৭৬ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ ভারতকে বাংলাদেশের সাথে আলোচনার মাধ্যমে এই বিষয়টির সুরাহার করার নির্দেশ দিয়ে একটি প্রস্তাব গ্রহণ করে। কয়েকবার বৈঠকের পর উভয় দেশ ৫ নভেম্বর ১৯৭৭ সালে একটি চুক্তি করে। চুক্তি অনুসারে বাংলাদেশ ও ভারত পরবর্তি পাঁচ বছরের (১৯৭৮-৮২) জন্য শুষ্ক মৌসুমে গঙ্গার পানি ভাগ করে নেবে। ১৯৮২ এর অক্টোবরে উভয় দেশ ১৯৮৩ ও ১৯৮৪ সালে পানি বণ্টনের একটি চুক্তি করে। নভেম্বর ১৯৮৫ সালে আরও তিন (১৯৮৬-৮৮) বছরের জন্য পানি বণ্টনের চুক্তি হয়। কিন্তু একটি দীর্ঘ চুক্তির অভাবে বাংলাদেশ তার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের উন্নয়নের জন্য গঙ্গার পানি ব্যবহারে কোনো দৃঢ় পদক্ষেপ নিতে পারেনি। কোনো চুক্তি না থাকায় ১৯৮৯ সালের শুষ্ক মৌসুম থেকে ভারত একতরফা প্রচুর পরিমাণ পানি গঙ্গা থেকে সরিয়ে নেয়, ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশর নদ-নদীতে পানি প্রবাহের চরম অবনতি ঘটে। ১৯৯২ সালের মে মাসে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীদের এক বৈঠকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরসিমা রাও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে এই আশ্বাস দিয়েছিলেন যে ভারত বাংলাদেশকে সমান পরিমাণ পানি দেবার ব্যাপারে সম্ভাব্য সকল কিছু করবে। ফলে এরপর দুই দেশের মধ্যে কোন মন্ত্রী বা সচিব পর্যায়ে বৈঠক হয়নি। ১৯৯৩ সালের মার্চ মাসে বাংলাদেশের হার্ডিঞ্জ ব্রীজ অঞ্চলে মাত্র ২৬১ কিউসেক পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয়, যেখানে ফারাক্কা-পূর্ব সময়ে একই অঞ্চলে ১৯৮০ কিউসেক পানি প্রবাহিত হত। ১৯৯৩ সালের মে মাসে যখন উভয় দেশের প্রধানমন্ত্রীরা আবার মিলিত হন, তখন ভারতের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশেকে দেওয়া তার কথা রাখতে ব্যর্থ হন। অবশেষে, ১৯৯৬ সালের ডিসেম্বর মাসে দিল্লিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী দেব গৌড়া ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গঙ্গার পানি বন্টন চুক্তি সই করেন। বাংলাদেশের ক্ষতি শুষ্ক মৌসুমে গঙ্গার পানি অপসারণের ফলে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। এতে বাংলাদেশকে কৃষি, মৎস্য, বনজ, শিল্প, নৌ পরিবহন, পানি সরবরাহ ইত্যাদি ক্ষেত্রে ব্যাপক লোকসানের সম্মুখীন হতে হয়। প্রত্যক্ষ ভাবে বাংলাদেশের প্রায় ৩০০ কোটি মার্কিন ডলার ক্ষতি হয়; যদি পরোক্ষ হিসাব করা হয়, তাহলে ক্ষতির পরিমাণ অনেক বেশি হবে। প্রফেসর এম, আই চৌধুরী এবংসৈয়দ সফিউল্লাহ জাতিসংঘ পরিবেশ অধিদপ্তর ও হামবুর্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ উদ্যোগে অনুষ্ঠিত ‘গ্লোবাল কার্বন প্রবাহ’ গবেষণা প্রকল্পে বিভিন্ন গুরত্বপুরন তথ্য উঠে আসে । ৮ বছরের সমীক্ষার ফলাফল সংক্ষেপে নিম্নোরূপ : পদ্মা নদী দিয়ে পলিপ্রবাহ প্রায় ২০% কমে গেছে (১৯৬০ সালের তুলনায়)। কার্বন প্রবাহ কমেছে ৩০%। পলিপ্রবাহ কমে যাওয়ার কারণে জমির উর্বরা শক্তি কমে যাচ্ছে। মিনারেল এবং নিউট্রিয়েন্ট কমে যাওয়ার ফলে নদী ও জলাভূমিতে ফাইটোপ্লাকটন উৎপাদন কমেছে ৩০%। ফাইটোপ্লাকটন হচ্ছে খাদ্য চক্রের প্রথম ধাপ। এ থেকে ক্রমান্বয়ে মাছ ও অন্যান্য জলজ জীবের উৎপাদন ঘটে। পদ্মা-ব্রক্ষপুত্রের সঙ্গমস্থল আরিচাঘাটে সমীক্ষা থেকে যে ফিশ ক্যালেন্ডার তৈরী করা হয়েছে তাতে দেখা যায় ৩৫ বছর আগের তুলনায় বর্তমান মৎস্য উৎপাদন মাত্র ২৫%। ইলিশ মাছ এখানে পাওয়া যায় না বল্লেই চলে। ইলিশ মাছ স্যাড গোত্রীয় মাছ। ০-৪২০ বিষ্ণুরেখার যেখানেই সমূদ্র সংলগ্ন নদী রয়েছে সেখানেই এই মাছ পাওয়া যায়। বৎসরের একটা নির্দিষ্ট সময়ে এই মাছ নোনা পানি থেকে মিঠা পানিতে আসে ডিম পাড়ার জন্য। উজানে এদের আগমন বাঁধ কিম্বা ঐ ধরনের বাধার পরিপ্রেক্ষিতে অত্যন্ত সংবেদনশলীল। ফারাক্কার আগে এক সময় রাজশাহী পদ্মা অবধি ইলিশ মাছ পাওয়া যেত। এখন আরিচাতেই এ মাছ পাওয়া যায় না। ফারাক্কা বিদ্যমান থাকলে আশংকা করা হয় পদ্মা এবং তার কমান্ড অঞ্চলে ইলিশ মাছ আদৌ পাওয়া যাবে না। জলবায়ু পরিবর্তন জনিত কারণে সমুদ্রের পৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দুধারী তলোয়ারের মত কাজ করছে। একদিকে সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির কারণে উপকূল অঞ্চল তলিয়ে যাওয়া আর তার সাথে যোগ হয়েছে বাংলাদেশের সমতল ভূমির ক্রমান্বয়ে দেবে যাওয়া যাকে বলা হয় সাবসিডেন্স। এর হার বছরে ৫ মি.মি.। নদীর প্লাবনের কারণে সঞ্চিত পলি সাবসিডেনসের নেতিবাচক প্রভাবকে এতকাল পুষিয়ে নিয়ে আসছিল। ফারাক্কার কারণে এমনটি আর হতে পারছে না । টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর টোশিও ইসুজুকা ও আমাদের যৌথ গবেষণায় ষ্ট্রনসিয়াম আইসোটপ সমীক্ষার মাধ্যমে দেখা গেছে যে পুরো বঙ্গোপসাগর জুড়ে সময় অনুচক্রে তীব্র ফাইটোপ্লাকটন বিকাশ ঘটে। আর এর অনুঘটক হচ্ছে নদী বাহিত নিউট্রিয়েন্ট বা পুষ্টি উপাদান ও মিনারেল। ফারাক্কা বাঁধের কারণে প্রক্রিয়াটি বিঘ্নিত হচ্ছে। ফলে সমগ্র বঙ্গোপসাগর জুড়ে মৎস্য উৎপাদন আশংকাজনকভাবে কমে যেতে পারে। বঙ্গোপসাগরের মাছের উপর ভারতের বিপুল জনগোষ্ঠিও নির্ভরশীল।একই সাথে কার্বন প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে গ্রীন হাউস প্রতিক্রিয়ার উপশম কম হবে প্রফেসর কেট ক্র্যান্ক (কানাডা) এর সাথে যৌথ গবেষণায় দেখা যায় যে ফারাক্কার কারণে নদী বাহিত পলির গ্রেইন সাইজ স্পেকট্রাল প্যার্টান অর্থাৎ পলি কণার সাইজ এর তাৎপর্যপূর্ণ পরিবর্তন ঘটছে। এই পরিবর্তন বাংলাদেশের মাটির ভৌত কাঠামোর উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে । বিস্তৃত অঞ্চল মরুকরণ পদ্মার পানি প্রবাহ মারাত্মকভাবে কমে যাওয়ায় বাংলাদেশের উত্তর অববাহিকায় বিশেষ করে রাজশাহী, চাপাইনবাবগঞ্জ ভূগর্ভস্থ পানির প্রথম স্তর ৮-১০ ফুট জায়গা বিশেষে ১৫ ফুট নিচে নেমে গেছে। মওসুমী বৃষ্টি ও এই স্তরে রিচার্য করে কুলিয়ে উঠতে পারছে না। সেচের জন্য খরার মৌসুমে এখন ভরসা দ্বিতীয় স্তর (>৩০০ ফুট)। বরেন্দ্র অঞ্চলে এই স্তরটা মোটামুটি ফসিল পানি দিয়ে পূর্ণ। ব্যাপক সেচের ফলে এই স্তর থেকে কতদিন পানি উত্তোলন করা যাবে কে জানে। পানির অভাবে মাটির আদ্রতা শুষ্ক মওসুমে ৩৫% কমে গেছে। পানি প্রবাহের এমন করুণ অবস্থা থেকে সৃষ্ট হয় মরুকরণ প্রক্রিয়া। নদীর পানি থেকে জলীয় বাষ্প সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের বায়ুর আদ্রতা সৃষ্টিতে নিয়ামক ভূমিকা পালন করে। খরার সময় পদ্মা নিজেই যখন বিশুষ্ক মরুভূমিতে পরিণত হয় সে তখন স্থলভূমির বায়ুতে আদ্রতার যোগান কিভাবে দিবে। আদ্রতার অভাবে দিনের নিম্নতম এবং উচ্চতম তাপমাত্রার তারতম্য বৃদ্ধি পায়। ৬০ দশকে এই তারতম্য যেখানে ৫-৮ সে. ছিল এখন সেটা বৃদ্ধি পেয়ে ৮-১২ সে. এ দাঁড়িয়েছে। এই দৃষ্টিকোণ থেকে মরুকরণ প্রক্রিয়ার ব্যাহিক রূপ এই অঞ্চলের জনগণ ইতিমধ্যে প্রত্যক্ষ করছেন। মরুকরণের অনেক বায়ো মার্কার রয়েছে, এইগুলো হতে পারে পানি নির্ভর উদ্ভিদ এবং আরো সুক্ষ স্তরে অণুজীব। আশা করা যায় দেশের নতুন প্রজন্মের পরিবেশ বিজ্ঞানীরা জাতীয় স্বার্থে এ ব্যাপারে গবেষণায় ব্রত হবেন। নদীর নাব্যতা ফারাক্কা পরবর্তি সময়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে গঙা নদীর (পদ্মা) প্রবাহে চরম বিপর্যয় ঘটে। প্রবাহ কমে যাওয়ায় নদীর নাব্যতা কমে যায়। ফলে প্রায় বাংলাদেশর বর্তমানে প্রায়ই বড় বন্যা সম্মুখীন হতে হচ্ছে। বাংলাদেশের গড়াই নদী এখন সম্পূর্ণভাবে বিলুপ্ত। মাটির লবণাক্ততা ফারাক্কা বাঁধের ফলে বাংলাদেশের খুলনা অঞ্চলের মাটির লবনাক্ততা বৃদ্ধি পেয়েছে। বিজ্ঞানীরা খুলনার রুপসা নদীর পানিতে ৫৬৩.৭৫ মিলিগ্রাম/লিটার ক্লোরাইড আয়নের উপস্থিতি পেয়েছেন। তাছাড়া, মিঠা পানির সরবরাহ কমে যাওয়ায় শুষ্ক মৌসুমে লবন, ভূ-অভ্যন্তরস্থ পানিতে প্রবেশ করছে। কৃষি কৃষির অবস্থা সবচেয়ে ভয়াবহ। পানির স্তর অনেক নেমে যাওয়ার দক্ষিণ অঞ্চলের জি-কে সেচ প্রকল্প মারাত্বক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। সেচযন্ত্র গুলো হয়ত বন্ধ হয়ে আছে অথবা সেগুলোর উপর তার ক্ষমতার চাইতে বেশি চাপ পড়ছে। এই প্রকল্পের অন্তর্গত প্রায় ১২১,৪১০ হেক্টর জমি রয়েছে। মাটির আর্দ্রতা, লবনাক্ততা, মিঠা পানির অপ্রাপ্যতা কৃষির মারাত্বক ক্ষতি করেছে। মৎস্য পানি অপসারণের ফলে পদ্মা ও এর শাখা-প্রশাখাগুলোর প্রবাহের ধরন, পানি প্রবাহের বেগ, মোট দ্রবীভূত পদার্থ (Total dissolved solids) এবং লবণাক্ততার পরিবর্তন ঘটেছে। এই বিষয় গুলো মাছের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। গঙ্গার পানির উপর এই এলাকার প্রায় দুই শতেরও বেশি মাছের প্রজাতি ও ১৮ প্রজাতির চিংড়ী নির্ভর করে। ফারাক্কা বাঁধের জন্য মাছের সরবরাহ কমে যায় এবং কয়েক হাজার জেলে বেকার হয়ে পড়েন। নৌ-পরিবহন শুষ্ক মৌসুমে বাংলাদেশের ৩২০ কিলোমিটারের বেশি নৌপথ নৌ-চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে। ফলশ্রুতিতে, কয়েক হাজার লোক বেকার হয়ে পড়ে, নৌ-পরিবহনের খরচ বেড়ে যায়। ভূ-অভ্যন্তরে পানির স্তর ভূ-অভ্যন্তরের পানির স্তর বেশিরভাগ জায়গায়ই ৩ মিটারের বেশি কমে গেছে। তাছাড়া বিভিন্ন দ্রবিভুত পদার্থের , ক্লোরাইড, সালফেট ইত্যাদির ঘনত্ব বেড়ে যাওয়ার কারণেও পানির স্তর কমছে। এর প্রভাব পড়ছে কৃষি, শিল্প, পানি সরবরাহ ইত্যাদির উপর। মানুষের বাধ্য হয়ে ১২০০ মিলিগ্রাম/লিটার দ্রবিভুত পদার্থ সম্পন্ন পানি পান করছে। যেখানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO = World health organization) ৫০০ মিলিগ্রাম/লিটারের কম দ্রবীভূত পদার্থ সম্পন্ন পানিকেই মানুষের পান করার জন্য উপযুক্ত বলে ঘোষণা করেছে। ভারতের ক্ষতি একচল্লিশ বছর আগে গঙ্গার উপর যখন ফারাক্কা বাঁধ চালু করা হয়, তার একটা প্রধান উদ্দেশ্য ছিল জলপ্রবাহের একটা অংশকে হুগলী নদীতে চালিত করে কলকাতা বন্দরকে পুনরুজ্জীবিত করা।সে উদ্দেশ্য পুরোপুরি সফল না-হলেও ফারাক্কার জেরে গঙ্গার উজানে যে পলি পড়া শুরু হয়েছে, তারে জেরে প্রতি বছরই বর্ষার মরশুমে বন্যাকবলিত হয়ে পড়ছে বিহার ও উত্তরপ্রদেশের একটা বিস্তীর্ণ অংশ।। বহুদিন ধরেই মালদহ-মুর্শিদাবাদ জেলার গঙ্গা তীরবর্তী দুর্ভোগ ও বিপর্যয়কবলিত মানুষ ফারাক্কা বাঁধের বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে আসছে। একই সঙ্গে তারা ক্ষতিপূরণ, ভূমি ও পুনর্বাসন দাবি করে আসছে। অব্যাহত বন্যা ও নদীভাঙন প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণেরও তারা দাবি জানিয়ে আসছে। বলা যায়, পশ্চিমবঙ্গের জন্যও ফারাক্কা বাঁধ বড় রকমের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, পার্শ্ববর্তী বিহারও ফারাক্কা বাঁধের কারণে মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়েছে। সেখানে চলমান বন্যায় ১০ লাখের বেশি মানুষ ও ২ লাখ মানুষের ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিহার রাজ্য সরকারের দাবি, ফারাক্কা বাঁধের কারণেই এই ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এবং প্রায় প্রতিবছরই রাজ্য বন্যা ও নদীভাঙনের শিকার হচ্ছে। তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ বিষয়শ্রেণী:পশ্চিমবঙ্গের বাঁধ বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক বিষয়শ্রেণী:মুর্শিদাবাদ জেলা
ফারাক্কা বাঁধ
ঘটনাবলি ১৭৯১ - ভারতীয় উপমহাদেশের প্রথম মাসিক পত্রিকা ‘ক্যালকাটা ম্যাগাজিন অ্যান্ড ওরিয়েন্টাল মিউজিয়াম’ প্রকাশিত হতে শুরু করে। ১৮৬৬ - ভিয়েনায় অস্ট্রিয়া এবং ইতালির মধ্যে ঐতিহাসিক ভিয়েনা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ১৯০০ - বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ আয়াতুল্লাহ হাজ্ব মির্যা হাসান শাহরেস্তানী চিরনিদ্রায় শায়িত হন। ১৯৩২ - ইরাক ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ থেকে নিজেদের স্বাধীনতা ঘোষণা করে। ১৯৪৫ - বিশ্ব ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশন প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৫৮ - ইংল্যান্ড প্রথম পারমাণবিক পরীক্ষা চালায়। ১৯৭৮ - বিশ্বের দ্বিতীয় ও ভারতের প্রথম টেস্ট টিউব শিশুর জন্ম। ১৯৮০ - বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসকে জাতীয় দিবস হিসেবে ঘোষণা দেয়া হয়। ১৯৮৮ - সিউল অলিম্পিক শুরু। ১৯৮৯ - ‘সরোদিয়া ওস্তাদ বাহাদুর হোসেন খান কলকাতায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। ১৯৯০ - অক্টোবরে দুই জার্মানি অর্থাৎ পূর্ব জার্মানি এবং পশ্চিম জার্মানি আনুষ্ঠানিকভাবে একত্রিত হবার ঘোষণা দেয়। ১৯৯৭ - বাংলাদেশের ঢাকা জেলার পুরান ঢাকার গেন্ডারিয়া থানার অন্তর্ভুক্ত এলাকা ঘুন্টিঘরে জন্ম নেয় মোঃ আবু সাঈদ নামের এক ছেলে। জন্ম ১৮৭৭ - হরেন্দ্রকুমার মুখোপাধ্যায় খ্যাতনামা বাঙালি শিক্ষাবিদ ও পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন রাজ্যপাল।(মৃ.০৭/০৮/১৯৫৬) ১৮৯৫ - রুশ কবি সের্গেই ইয়েসেনিন। ১৮৯৭ - ফরাসি কবি লুই আরাগঁ। ১৮৯৯ - লুই ইয়েল্ম্‌স্লেভ, ডেনীয় ভাষাবিজ্ঞানী। ১৯০৪ - নোবেলজয়ী [১৯৮৭] মার্কিন রসায়নবিদ চার্লস জন পেডারসেন।(মৃ.২৬/১০/১৯৮৯) ১৯২০ - প্রখ্যাত বেতার ও দূরদর্শন ধারাভাষ্যকার অজয় বসু (মৃ. ২০০৪ খ্রি.) ১৯৭৩ - লিনা হিডি, ব্রিটিশ অভিনেত্রী। ১৯৯৭ - আবু সাঈদ,পুরান ঢাকার ছেলে। ১৯৮৮ - আলিসিয়া ভিকান্দার, সুয়েডিয় অভিনেত্রী। মৃত্যু ১৫৯১ - ইতালির চিত্রশিল্পী ভিনচেনৎসো ক্যাম্পি ১৮৯৬ - উইলিয়াম মরিস, ইংরেজ টেক্সটাইল ডিজাইনার, কবি, উপন্যাসিক, অনুবাদক এবং সমাজতান্ত্রিক কর্মী। ১৯৫২ - ব্রজেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, বাঙালি পণ্ডিত,গবেষক ও সম্পাদক।(জ.২১/০৯/১৮৯১) ১৯২৩ - ব্রিটিশ ভারতে প্রথম ২ জন মহিলা স্নাতক ও ভারতে তথা দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম মহিলা চিকিৎসক কাদম্বিনী গঙ্গোপাধ্যায় (জ.১৮/০৭/১৮৬১) ১৯৮৯ - ওস্তাদ বাহাদুর হোসেন খান, বাংলাদেশী উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতশিল্পী, সুরকার ও সরোদ বাদক। (জ. ১৯৩১) ১৯৯৩ - সাহিত্যিক,সাহিত্যতাত্ত্বিক ও স্বাধীনতা সংগ্রামী গোপাল হালদার।(জ.১১/০২/১৯০২) ২০০১ - সংগীতসাধক বারীণ মজুমদার। ছুটি ও অন্যান্য বহিঃসংযোগ তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:গ্রেগরীয় পঞ্জিকার দিন বিষয়শ্রেণী:অক্টোবর
৩ অক্টোবর
নারায়ণগঞ্জ রেলওয়ে জংশন বাংলাদেশের ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় অবস্থিত একটি রেলওয়ে স্টেশন, যা নারায়ণগঞ্জ শহর ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকাকে সেবা প্রদান করে। নারায়ণগঞ্জ রেলওয়ে জংশনটি ছিল ব্রিটিশ ও পাকিস্তান আমলের বিখ্যাত ও প্রাচীনতম রেলস্টেশন যা এখনও বিদ্যমান রয়েছে। স্টেশনটি পূর্বে পাট ব্যবসায়ের জন্য অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল বিশেষ করে আদমজী পাট কল এবং অন্যান্য যোগাযোগের পথগুলোর জন্য। বর্তমানে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ত্রিশ হাজারেরও বেশি যাত্রী ট্রেনে করে নারায়ণগঞ্জ থেকে রাজধানীতে যাতায়াত করে। ইতিহাস নারায়ণগঞ্জ রেলওয়ে জংশন শীতলক্ষ্যা নদীর পশ্চিম তীরে অবস্থিত, যেখানে ব্রহ্মপুত্র এবং বুড়িগঙ্গা শীতলক্ষ্যা নদীতে পতিত হয়েছে। এটি আঠারো শতকে ঢাকা স্টেট রেলওয়ের অধীনে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। ১৮৮৪-১৮৮৫ সালে ঢাকা স্টেট রেলওয়ে নারায়ণঞ্জ থেকে ঢাকা হয়ে ময়মনসিংহ পর্যন্ত ১৪৪ কিলোমিটার (৮৯ মাইল) রেলপথ চালু করেছিল। ২০১৭ সালে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে এ গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনটি বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয় এবং সে জন্যে মাঠ প্রশাসন সংযোগ শাখা রেলওয়ে মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করে। বলা হয় যে, রেলপথের জন্য সড়ক পথের ৪টি ক্রসিং ১৬টি ট্রেনের জন্য ৩২ বার বন্ধ করার কারণে সড়ক পথে যানজট তৈরি হচ্ছে। আরও দেখুন নারায়ণগঞ্জ-বাহাদুরাবাদ ঘাট লাইন তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:নারায়ণগঞ্জ জেলার রেলওয়ে স্টেশন বিষয়শ্রেণী:নারায়ণগঞ্জ বিষয়শ্রেণী:১৮৮৫-এ প্রতিষ্ঠিত
নারায়ণগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন
right|thumb|200px|পিয়াজু পিঁয়াজু বাংলাদেশের খুবই জনপ্রিয় একটি ভাজা ঝাল খাবার। এটি সাধারণত দুপুর বা বিকেলের নাস্তায় পরিবেশিত হয়। বিশেষ করে রোজার সময় ইফতারে এটির চল বেশি। এটি মসুর ডাল বা খেসাড়ীর ডাল বাটার সাথে পেঁয়াজ কুচিঁ, মরিচ বাটা, লবণ এবং বিভিন্ন মশলা মিশিয়ে ছোট ছোট চ্যাপ্টা গোলাকাকৃতি দলা তৈরি করে, এরপর ডোবা তেলে ভেজে তৈরি করা হয়। প্রচুর পেঁয়াজ দেয়া হয় বলে এটির নাম "পিঁয়াজু"। কখনো কখনো একে বড়া হিসেবেও উল্লেখ করা হয়। এটি একটি ঝাল খাবার। হুলুদ ও মরিচ দেয়ার ফলে এর বর্ণ আগুনে লাল। এটি মচমচে এবং সুস্বাদু। প্রস্তুত প্রণালী প্রথমে পরিমান মত খেশারি ডাল নিতে হবে, এর পর পরিমান মত পানিতে ১.০০(এক) ঘন্টা মত ভিজিয়ে রাখতে হবে,ডাল যখন নরম হয়ে আসবে তখন ভলো করে ধুয়ে ঝরঝরা করতে হবে, এর পর ব্লেন্ডার মেসিন অথবা পাটার মধ্যে হালকা করে বেটে নিতে হবে, এর পর বাটা ডাল এর সাথে পরিমান মত ময়দা মিশাতে হবে, যাতে আটালো হয় এরপর খাবার সোডা পরিমান মত, পিয়াজ ও কাঁচা মরিচ এবং লবণ স্বাদ অনুযায়ী দিব,স্বাদ বাডানো জন্য চাইলে জিরা ও দিতে পারেন,এবার সব গুলো এক সাথে মিশিয়ে আধা ঘন্টা রেখে দিবেন, এর পর পরিমান মত তেল দিয়ে গ্যাস এর চুলায় আগুন বাডিয়ে দিয়ে তেলটা গরম করে নিব, তেল গরম হয়ে এলে গ্যাস চুলার আগুন হালকা করে পিয়াজুর বরা বনিয়ে তেলে দিব,এরপর পিয়াজুর গায়ের রং লাল হয়ে নিয়ে ফেলব, ব্যাস হয়ে গেল মজার পেয়াজু, এবার চস দিয়ে কিংবা এমনে পরিবেশন করুন। খাদ্য মান ক্যালরি: ৬০-১২০ কিলোক্যালরি (আকারের উপর নির্ভরশীল) বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশের খাদ্য বিষয়শ্রেণী:ফাস্ট ফুড
পিঁয়াজু
আডলফ হিটলার ( জার্মান ভাষায়: Adolf Hitler আডল্‌ফ্‌ হিট্‌লা) (২০শে এপ্রিল, ১৮৮৯ - ৩০শে এপ্রিল, ১৯৪৫) অস্ট্রীয় বংশোদ্ভূত জার্মান রাজনীতিবিদ যিনি ন্যাশনাল সোশ্যালিস্ট জার্মান ওয়ার্কার্স পার্টির নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। হিটলার ১৯৩৩ থেকে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত জার্মানির চ্যান্সেলর এবং ১৯৩৪ থেকে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত সে দেশের ফিউরার ছিলেন। হিটলার প্রথম বিশ্বযুদ্ধে সৈনিক হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন। পরবর্তীকালে ভাইমার প্রজাতন্ত্রে নাৎসি পার্টির নেতৃত্ব লাভ করেন। অভ্যুত্থান করতে গিয়ে ব্যর্থ হয়েছিলেন যে কারণে তাকে জেল খাটতে হয়েছিল। জেল থেকে ছাড়া পেয়ে মোহনীয় বক্তৃতার মাধ্যমে জাতীয়তাবাদ, ইহুদি বিদ্বেষ ও সমাজতন্ত্র বিরোধিতা ছড়াতে থাকেন। এভাবেই এক সময় জনপ্রিয় নেতায় পরিণত হন। নাৎসিরা তাদের বিরোধী পক্ষের অনেককেই হত্যা করেছিল, রাষ্ট্রের অর্থনীতিকে ঢেলে সাজিয়েছিল, সামরিক বাহিনীকে নতুন নতুন সব অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত করেছিল এবং সর্বোপরি একটি সমগ্রতাবাদী ও ফ্যাসিবাদী একনায়কত্ব প্রতিষ্ঠা করেছিল। হিটলার এমন একটি বৈদেশিক নীতি গ্রহণ করেন যাতে সকল "লেবেনস্রাউম" (জীবন্ত অঞ্চল) দখল করে নেয়ার কথা বলা হয়। ১৯৩৯ সালে জার্মানরা পোল্যান্ড অধিকার করে এবং ফলশ্রুতিতে ব্রিটেন ও ফ্রান্স জার্মানির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। এভাবেই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়। যুদ্ধের অক্ষ শক্তি তথা জার্মান নেতৃত্বাধীন শক্তি মহাদেশীয় ইউরোপ এবং আফ্রিকা ও এশিয়ার বেশ কিছু অঞ্চল দখল করে নিয়েছিল। কিন্তু অবশেষে মিত্র শক্তি বিজয় লাভ করে। ১৯৪৫ সালের মধ্যে জার্মানি ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়। হিটলারের রাজ্য জয় ও বর্ণবাদী আগ্রাসনের কারণে লক্ষ লক্ষ মানুষকে প্রাণ হারাতে হয়। ৬০ লক্ষ ইহুদিকে পরিকল্পনামাফিক হত্যা করা হয়। ইহুদি নিধনের এই ঘটনা ইতিহাসে হলোকস্ট নামে পরিচিত। ১৯৪৫ সালে যুদ্ধের শেষ দিনগুলোতে হিটলার বার্লিনেই ছিলেন। রেড আর্মি যখন বার্লিন প্রায় দখল করে নিচ্ছিল সে রকম একটা সময়ে ইভা ব্রাউনকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর ২৪ ঘণ্টা পার হওয়ার আগেই তিনি ফিউরারবাংকারে সস্ত্রীক আত্মহত্যা করেন। কৈশোর ও যৌবনকাল হিটলারের বাবা Alois বৈধভাবে (সমাজ সাপেক্ষে) জাত ছিলেন না। এক কথায় বলতে গেলে জারজ ছিলেন। তিনি জীবনের অনেকটা সময় শেষ নাম হিসেবে মায়ের নাম (Schicklgruber) ব্যবহার করেছিলেন। ১৮৭৬ সালেই Alois প্রথম হিটলার নামটি গ্রহণ করেন। তার ছেলে অ্যাডলফ-ও কখনও হিটলার ছাড়া অন্য কোন শেষ নাম ব্যবহার করেনি। সরকারী কাস্টম্‌স থেকে অবসর গ্রহণের পর হিটলারের বাবা সপরিবারে আপার অস্ট্রিয়ার লিন্‌ৎস শহরে চলে আসেন। এখানেই হিটলারের বাল্যকাল অতিবাহিত হয়। এ কারণে সারাজীবন তিনি লিন্‌ৎসকে ভালবেসে গেছেন, কোন শহরকে এর উপরে স্থান দিতে পারেননি। বাবাকে তিনি খুব পছন্দ করতেন না বরং ভয় করতেন। কিন্তু মায়ের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালবাসার কোন কমতি ছিল না। ১৯০৩ সালে বাবা মারা যান। বাবার রেখে যাওয়া পেনশন ও সঞ্চয়ের অর্থ দিয়েই তাদের সংসার কোনমতে চলতে থাকে। অনেক ভোগান্তির পর ১৯০৭ সালে মাতাও মারা যান। হিটলার নিঃস্ব হয়ে পড়েন। পড়াশোনায় বিশেষ সুবিধা করতে পারেননি। এক সময় ভিয়েনায় যান। কিন্তু চিত্রশিল্পী হবার স্বপ্ন নিয়ে আবার লিন্‌ৎসে ফিরে আসেন। আবার ভিয়েনায় যান। সামান্য যা ভাতা পেতেন তা দিয়ে ভিয়েনার মত শহরে চলতে-ফিরতে তার বেশ কষ্ট হতো। শিল্পী হিসেবেই তার বেশ সম্ভাবনা ছিল। এই উদ্দেশ্যে অস্ট্রিয়ার "একাডেমি অফ ফাইন আর্টস"-এ ভর্তি পরীক্ষা দেন। কিন্তু সুযোগ পাননি। গ্রন্থ হিটলারের লেখা গ্রন্থ হল "মাইন কাম্ফ"। অগত্যা বেশ ক'বছর তাকে একাকী ও বিচ্ছিন্ন জীবন যাপন করতে হয়। এ সময় পোস্টকার্ড ও বিজ্ঞাপনের ছবি এঁকে সামান্য উপার্জন করতেন। এই অর্থ দিয়ে ভিয়েনার এক হোস্টেল থেকে আরেক হোস্টেলে বাস করতে থাকেন। এ সময় তার মধ্যে বেশ কিছু বৈশিষ্ট্য দেখা গিয়েছিল যেগুলো তার পরবর্তী জীবন সম্বন্ধে আমাদের কিছু ধারণা পেতে সাহায্য করে। যেমন: একাকিত্ব, গোপনীয়তা, প্রাত্যহিক অস্তিত্বের বোহেমীয় ভাব (ছন্নছাড়া জীবন-যাপন), কসমোপলিটানিজ্‌মের প্রতি ঘৃণা এবং ভিয়েনার বহুজাতিক অবস্থার প্রতি বিতৃষ্ণা। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে যোগদান thumb|মাদাম তুসো জাদুঘরে নাৎসীবাদী আডলফ হিটলারের মোমের ভাস্কর্য ১৯১৩ সালে মিউনিখে চলে যান। ১৯১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে অস্ট্রীয় সামরিক বাহিনীতে ভর্তি হওয়ার চেষ্টা করেন। স্বাস্থ্যগত কারণে সৈনিক হবার সুযোগ পাননি। তাকে সামরিক বাহিনীর জন্য আনফিট ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হওয়ার সাথে সাথে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে জার্মান সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। তিনি ছিলেন ১৬তম বাভারিয়ান রিজার্ভ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টে। যুদ্ধের পুরোটা সময় জার্মানিকে সেবা দিয়ে গেছেন। ১৯১৬ সালের অক্টোবরে আহত হওয়ার পর বেশ কিছুদিন বিশ্রামে ছিলেন। এছাড়া যুদ্ধের বাকিটা সময় সক্রিয় থেকেছেন। অধিকাংশ সময়ই সম্মুখ সারিতে থেকে হেডকোয়ার্টার্স রানার হিসেবে কাজ করেছেন। যুদ্ধে সাহসিকতা ও বীরত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯১৪ সালের ডিসেম্বরে সেকেন্ড ক্লাস আয়রন ক্রস লাভ করেন। ১৯১৮ সালের আগস্টে তাকে ফার্স্ট ক্লাস আয়রন ক্রস দেয়া হয়। একজন করপোরালের পক্ষে এটা বেশ বড় প্রাপ্তি। হিটলার খুব উৎসাহের সাথে যুদ্ধ করেছেন। রাজনীতিতে প্রবেশ প্রথম বিশ্বযুদ্ধে জার্মানি হেরে যায়। হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে ফিরে হিটলার রাজনীতিতে যোগ দেন। ১৯১৯ সালের মে-জুনের দিকে জার্মানির বিশৃঙ্খল পরিস্থিতিতে মিউনিখের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় হন। সেপ্টেম্বরে মিউনিখের ক্ষুদ্র দল "জার্মান ওয়ার্কার্স পার্টি"-তে সামরিক রাজনৈতিক এজেন্ট হিসেবে কাজ শুরু করেন। ১৯২০ সালে তাকে এই দলের প্রচারণার দায়িত্ব দেয়া হয়। দলের ভেতরে নিজের অবস্থান পাকাপোক্ত করার জন্য তিনি সেনাবাহিনী ত্যাগ করেন। এই বছরই দলের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় National-sozialistische Deutsche Arbeiterpartei (নাৎসি পার্টি)। জার্মানির তৎকালীন পরিস্থিতিতে এ ধরনের একটি রাজনৈতিক দলের উত্তরণের বেশ ভাল সম্ভাবনা ছিল। কারণ যুদ্ধের বিভীষিকা এবং শান্তি চুক্তিতে জার্মানির বিশাল পরাজয়ের কারণে জনমনে অসন্তোষ দানা বেধে উঠেছিল। এর সাথে ছিল অর্থনৈতিক অস্থিরতা। বাভারিয়াতে এই অবস্থা ছিল আরও বিরূপ। সেখানে বার্লিনের প্রজাতন্ত্রী সরকারের তীব্র বিরোধিতা প্রকাশিত হতে শুরু করেছিল। হিটলারও বাভারিয়ার মিউনিখ শহরেই তার কাজ চালিয়ে যেতে থাকেন। ১৯২০ সালেই একটি ডানপন্থী সরকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য বার্লিনে সামরিক ক্যু করার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু এই ক্যু ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়। আডলফ হিটলারের যৌনজীবন thumb|325x325px|বারঘোফে কুকুরের সাথে আডলফ হিটলার এবং ইভা ব্রাউন আডলফ হিটলারের যৌনজীবন নিয়ে দীর্ঘদিন ইতিহাসবিদ এবং পণ্ডিতদের মধ্যে বিতর্ক চলছে। পুরো জীবনে কিছু সংখ্যক মেয়ের সাথে তার রোমান্টিক সম্পর্ক ছিল এবং একই সাথে  সমকামিতার প্রতি তার বিদ্বেষ দেখা গেছে। তিনি সমকামিতায় আসক্ত ছিলেন, এমন কোন প্রমাণ পাওয়া যায় না। তার নাম অনেক মেয়ের সাথেই যুক্ত হয়েছে, যাদের মধ্যে দুজন আত্মহত্যা করেছে। অন্যান্য ঘটনার মধ্যে আছে, একজন আত্মহত্যা চেষ্টার ৮ বছর পর মারা গিয়েছিল এবং আরেকজন একটি ব্যর্থ আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছিল। যদিও এসব বিষয়ে জোরালো প্রমাণ নেই।  হিটলারকে সবাই জানত একজন সংসারত্যাগী চিরকুমার মানুষ হিসেবে , যিনি তার পুরো জীবন রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ও রাষ্ট্রের জন্য উৎসর্গ করেছেন।  ইভা ব্রাউনের সাথে তার ১৪ বছরের প্রেমের সম্পর্ক বাইরে এবং ভেতরের কেউ জানত না। ব্রাউনের জীবনীলেখক হেইকে গোরটেমা উল্লেখ করেছেন যে, এই জুটি স্বাভাবিক যৌন জীবন উপভোগ করত। হিটলার এবং ব্রাউন ১৯৪৫ এ এপ্রিলের শেষ দিকে বিয়ে করেছিলেন এবং আত্মহত্যার পূর্ব পর্যন্ত ৪০ ঘণ্টারও কম সময় একসাথে ছিলেন।  এলিস কর্তৃক যুদ্ধের সময়ের দুইটি প্রতিবেদনে হিটলারকে মানসিকভাবে বিশ্লেষণ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। ১৯৪৩ সালে উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে ওয়াল্টার সি ল্যাঙ্গার, দি আমেরিকান অফিস অব স্ট্র্যাটিজিক সার্ভিসের এক প্রতিবেদনে বলেন, হিটলারের অবদমিত সমকাম প্রবণতা ছিল এবং আরো বলেন, হিটলার পুরুষত্বহীন কর্পোহিল ছিলেন।  হেনরি মুররে এবং নাৎসি পার্টি বিরোধী অট্টো স্ট্রেসার আলাদা আলাদা প্রতিবেদনে একই মত দেন। ব্রিটিশ ইতিহাসবিদ স্যার ইয়ান কারশাও স্ট্রেসারের মতকে  "হিটলারবিরোধী প্রোপাগান্ডা" হিসেবে উল্লেখ করেন। বিয়ে ১৯৪৫ খ্রিষ্টাব্দে ইভা ব্রাউনকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর ২৪ ঘণ্টা পার হওয়ার আগেই তিনি ফিউরার বাংকারে সস্ত্রীক আত্মহত্যা করেন। হস্তক্ষেপ ১৯৩৯ সালে তিনি গারহার্ড ডোমাগ নামীয় এক চিকিৎসাবিজ্ঞানীকে তার প্রাপ্য নোবেল পুরস্কার গ্রহণে নিষেধাজ্ঞা প্রদান করেন। আরও দেখুন মাদাম তুসো জাদুঘর তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:১৮৮৯-এ জন্ম বিষয়শ্রেণী:১৯৪৫-এ মৃত্যু বিষয়শ্রেণী:জার্মানির চ্যান্সেলর বিষয়শ্রেণী:নাৎসি নেতা বিষয়শ্রেণী:দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ বিষয়শ্রেণী:জার্মান বিষয়শ্রেণী:জার্মান বিপ্লবী বিষয়শ্রেণী:দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের রাজনৈতিক নেতা বিষয়শ্রেণী:বিরুদ্ধ-মার্কিনবাদ
আডলফ হিটলার
উইলিয়াম জেফারসন ক্লিনটন (ইংরেজি: William Jefferson Clinton, আগস্ট ১৯, ১৯৪৬) যিনি বিল ক্লিনটন (Bill Clinton) নামে সমধিক পরিচিত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪২তম রাষ্ট্রপতি। তিনি নিউ ইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের সিনেটর হিলারি ক্লিনটনের স্বামী। তথ্যসূত্র আরো পড়ুন প্রাথমিক উৎস Clinton, Bill. (with Al Gore). Science in the National Interest. Washington, D.C.: The White House, August 1994. --- (with Al Gore). The Climate Change Action Plan. Washington, D.C.: The White House, October 1993. Taylor Branch The Clinton Tapes: Wrestling History with the President. (2009) Simon and Schuster. Official Congressional Record Impeachment Set: ... Containing the Procedures for Implementing the Articles of Impeachment and the Proceedings of the Impeachment Trial of President William Jefferson Clinton. Washington, D.C.: U.S. G.P.O., 1999. Public Papers of the Presidents of the United States, William J. Clinton. Washington, D.C.: Office of the Federal Register, National Archives and Records Administration: For sale by the Supt. of Docs., U.S. G.P.O., 1994–2002. S. Daniel Abraham Peace Is Possible, foreword by Bill Clinton বই Peter Baker The Breach: Inside the Impeachment and Trial of William Jefferson Clinton (2000) James Bovard Feeling Your Pain: The Explosion and Abuse of Government Power in the Clinton-Gore Years (2000) Joe Conason and Gene Lyons The Hunting of the President: The Ten-Year Campaign to Destroy Bill and Hillary Clinton (2003) Elizabeth Drew On the Edge: The Clinton Presidency (1994) David Gergen Eyewitness to Power: The Essence of Leadership. (2000) Nigel Hamilton Bill Clinton: An American Journey (2003) Christopher Hitchens No One Left to Lie to: The Triangulations of William Jefferson Clinton (1999) Michael Isikoff Uncovering Clinton: A Reporter's Story (1999) Mark Katz Clinton and Me: A Real-Life Political Comedy (2004) David Maraniss The Clinton Enigma: A Four and a Half Minute Speech Reveals This President's Entire Life (1998) Dick Morris with Eileen McGann Because He Could (2004) Richard A. Posner An Affair of State: The Investigation, Impeachment, and Trial of President Clinton (1999) Mark J. Rozell The Clinton Scandal and the Future of American Government (2000) Timperlake, Edward, and William C. Triplett II Year of the Rat: How Bill Clinton Compromised U.S. Security for Chinese Cash. Washington, D.C.: Regnery Publishing, 1998. 275 p. + [8] p. of col. photos. Michael Waldman POTUS Speaks: Finding the Words That Defined the Clinton Presidency (2000) Ivory Tower Publishing Company. Achievements of the Clinton Administration: the Complete Legislative and Executive. (1995) একাডিমিক শিক্ষা Cohen; Jeffrey E. "The Polls: Change and Stability in Public Assessments of Personal Traits, Bill Clinton, 1993–99" Presidential Studies Quarterly, Vol. 31, 2001 Cronin, Thomas E. and Michael A. Genovese; "President Clinton and Character Questions" Presidential Studies Quarterly Vol. 28, 1998 Davis; John. "The Evolution of American Grand Strategy and the War on Terrorism: Clinton and Bush Perspectives" White House Studies, Vol. 3, 2003 Edwards; George C. "Bill Clinton and His Crisis of Governance" Presidential Studies Quarterly, Vol. 28, 1998 Fisher; Patrick. "Clinton's Greatest Legislative Achievement? the Success of the 1993 Budget Reconciliation Bill" White House Studies, Vol. 1, 2001 Glad; Betty. "Evaluating Presidential Character" Presidential Studies Quarterly, Vol. 28, 1998 William G. Hyland. Clinton's World: Remaking American Foreign Policy (1999) Jewett, Aubrey W. and Marc D. Turetzky; "Stability and Change in President Clinton's Foreign Policy Beliefs, 1993–96" Presidential Studies Quarterly, Vol. 28, 1998 Johnson, Fard. "Politics, Propaganda and Public Opinion: The Influence of Race and Class on the 1993–1994 Health Care Reform Debate", 2004. Laham, Nicholas, A Lost Cause: Bill Clinton's Campaign for National Health Insurance (1996) Lanoue, David J. and Craig F. Emmert; "Voting in the Glare of the Spotlight: Representatives' Votes on the Impeachment of President Clinton" Polity, Vol. 32, 1999 Maurer; Paul J. "Media Feeding Frenzies: Press Behavior during Two Clinton Scandals" Presidential Studies Quarterly, Vol. 29, 1999 Nie; Martin A. It's the Environment, Stupid!': Clinton and the Environment" Presidential Studies Quarterly, Vol. 27, 1997 O'Connor; Brendon. "Policies, Principles, and Polls: Bill Clinton's Third Way Welfare Politics 1992–1996" The Australian Journal of Politics and History, Vol. 48, 2002 Poveda; Tony G. "Clinton, Crime, and the Justice Department" Social Justice, Vol. 21, 1994 Renshon; Stanley A. The Clinton Presidency: Campaigning, Governing, and the Psychology of Leadership Westview Press, 1995 Renshon; Stanley A. "The Polls: The Public's Response to the Clinton Scandals, Part 1: Inconsistent Theories, Contradictory Evidence" Presidential Studies Quarterly, Vol. 32, 2002 Rushefsky, Mark E. and Kant Patel. Politics, Power & Policy Making: The Case of Health Care Reform in the 1990s (1998) Schantz, Harvey L. Politics in an Era of Divided Government: Elections and Governance in the Second Clinton Administration (2001) Wattenberg; Martin P. "The Democrats' Decline in the House during the Clinton Presidency: An Analysis of Partisan Swings" Presidential Studies Quarterly, Vol. 29, 1999 Wattier; Mark J. "The Clinton Factor: The Effects of Clinton's Personal Image in 2000 Presidential Primaries and in the General Election" White House Studies, Vol. 4, 2004 Smithers, Luken J. "The Miracle Whip" বহিঃসংযোগ অফিসিয়াল White House biography Clinton Presidential Materials Project Press releases and speech transcripts from the administration. Clinton School of Public Service সংস্থা William J. Clinton Foundation official website বই ও চলচ্চিত্র সাক্ষাতকার ও বিবৃতি Oral History Interview with Bill Clinton from Oral Histories of the American South Full audio of a number of Clinton speeches via the Miller Center of Public Affairs (UVa) The Wanderer Profile in The New Yorker, September 2006, the most extensive interview post-presidency মিডিয়া অ্যন্যান্য Extensive essays on Bill Clinton and shorter essays on each member of his cabinet and First Lady from the Miller Center of Public Affairs Armigerous American Presidents Series article from the American Heraldry Society. Bill Clinton at C-SPAN's American Presidents: Life Portraits Clinton — An American Experience Documentary বিষয়শ্রেণী:১৯৪৬-এ জন্ম বিষয়শ্রেণী:মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি বিষয়শ্রেণী:জীবিত ব্যক্তি বিষয়শ্রেণী:জাতিসংঘের শুভেচ্ছাদূত বিষয়শ্রেণী:মার্কিন আত্মজীবনীকার বিষয়শ্রেণী:ইংরেজ বংশোদ্ভূত মার্কিন ব্যক্তি বিষয়শ্রেণী:আইরিশ বংশোদ্ভূত মার্কিন ব্যক্তি বিষয়শ্রেণী:স্কটিশ-আইরিশ বংশোদ্ভূত মার্কিন ব্যক্তি বিষয়শ্রেণী:স্কটিশ বংশোদ্ভূত মার্কিন ব্যক্তি
বিল ক্লিনটন
right|thumb|এন্ড্রু জন‌সন অ্যান্ড্রু জন‌সন (২৯ ডিসেম্বর ১৮০৮ – ৩১ জুলাই ১৮৭৫) ছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সপ্তদশ রাষ্ট্রপতি। তিনি ১৮৬৫ থেকে ১৮৬৯ সাল পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি ছিলেন। আব্রাহাম লিংকন আততায়ীর হাতে মারা যাওয়ার সময় তিনি উপ-রাষ্ট্রপতি ছিলেন। আমেরিকান গৃহযুদ্ধ শেষ হওয়ার পর তিনি উপ-রাষ্ট্রপতির পদ অধিকার করেন। প্রারম্ভিক জীবন অ্যান্ড্রু জনসন ১৮০৮ সালের ২৯শে ডিসেম্বর উত্তর ক্যারোলাইনার রালেই শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা জ্যাকব জনসন (১৭৭৮-১৮১২) এবং মাতা ম্যারি "পলি" ম্যাকডোনা (১৭৮৩-১৮৫৬) ছিলেন একজন ধোপা। তার পূর্বপুরুষগণ ইংরেজ, স্কটিশ ও আইরিশ ছিলেন। তার বড় ভাই উইলিয়াম তার থেকে চার বছরের বড়। তার এক বড় বোন এলিজাবেথ শৈশবেই মারা যায়। অ্যান্ড্রুর যখন তিন বছর বয়স তখন তার পিতা হার্ট অ্যাটাকে মারা যান। পলি জনসন তার পরিবারের ভরণপোষণের জন্য ধোপার কাজ করতেন। সে সময়ে এই পেশাকে হেয় করে দেখা হতো, কারণ তাকে একাকী অন্যের বাড়িতে যেতে হত। অ্যান্ড্রু তার ভাইবোনদের মত দেখতে না হওয়ায় তিনি অন্য কারো ঔরসজাত সন্তান বলে গুজব ছড়িয়েছিল। পলি জনসন পরবর্তীকালে টার্নার ডোট্রিকে বিয়ে করেন। তথ্যসূত্র গ্রন্থপঞ্জি বহিঃসংযোগ হোয়াইট হাউজ জীবনী বিষয়শ্রেণী:১৮০৮-এ জন্ম বিষয়শ্রেণী:১৮৭৫-এ মৃত্যু বিষয়শ্রেণী:মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি বিষয়শ্রেণী:ইংরেজ বংশোদ্ভূত মার্কিন ব্যক্তি বিষয়শ্রেণী:আইরিশ বংশোদ্ভূত মার্কিন ব্যক্তি বিষয়শ্রেণী:স্কটিশ-আইরিশ বংশোদ্ভূত মার্কিন ব্যক্তি
অ্যান্ড্রু জন‌সন
উইলিয়াম হাওয়ার্ড ট্যাফ্‌ট্‌ (William Howard Taft) (সেপ্টেম্বর ১৫, ১৮৫৭– মার্চ ৮, ১৯৩০) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ২৭তম রাষ্ট্রপতি ও ১০ম প্রধান বিচারপতি। তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:১৮৫৭-এ জন্ম বিষয়শ্রেণী:১৯৩০-এ মৃত্যু বিষয়শ্রেণী:মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি বিষয়শ্রেণী:ইংরেজ বংশোদ্ভূত মার্কিন ব্যক্তি বিষয়শ্রেণী:স্কটিশ-আইরিশ বংশোদ্ভূত মার্কিন ব্যক্তি
উইলিয়াম হাওয়ার্ড ট্যাফ্ট
লিন্ডন বি. জনসন (Lyndon B. Johnson)(আগস্ট ২৭, ১৯০৮ – জানুয়ারি ২২, ১৯৭৩) একজন মার্কিন রাজনীতিবিদ যিনি ১৯৬৩ সাল থেকে ১৯৬৯ সাল পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৩৬তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বহিঃসংযোগ বিষয়শ্রেণী:১৯০৮-এ জন্ম বিষয়শ্রেণী:১৯৭৩-এ মৃত্যু বিষয়শ্রেণী:মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি বিষয়শ্রেণী:ইংরেজ বংশোদ্ভূত মার্কিন ব্যক্তি বিষয়শ্রেণী:স্কটিশ-আইরিশ বংশোদ্ভূত মার্কিন ব্যক্তি বিষয়শ্রেণী:জার্মান বংশোদ্ভূত মার্কিন ব্যক্তি বিষয়শ্রেণী:স্কটিশ বংশোদ্ভূত মার্কিন ব্যক্তি
লিন্ডন বি. জনসন
মার্গারেট থ্যাচার ছিলেন বৃটেনের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী। প্রাথমিক জীবন এবং শিক্ষা মার্গারেট হিল্ডা রবার্টস জন্ম ১৩ অক্টোবর ১৯২৫, গ্রিনহাম, লিঙ্কনশায়ারে।. তার পিতামাতা ছিলেন অ্যালফ্রেড রবার্টস (১৮৯২-১৯৭০), নর্থাম্পটনশায়ার থেকে এবং বিট্রিস এথেল (এন স্টিফেনসন, ১৮৮৮-১৯৬০) লিঙ্কনশায়ার থেকে। তিনি তার শৈশব গ্রান্টহ্যামে কাটিয়েছিলেন, যেখানে তার পিতা দুটি মুদি দোকানের মালিক ছিলেন। ১৯৩৪ সালে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পূর্বে, রবার্টস পরিবার সংক্ষিপ্তভাবে একটি কিশোর ইহুদি মেয়েকে আশ্রয় দেয় যা নাৎসি জার্মানি থেকে পালিয়েছিল। তার পেন-ফ্রেন্ডিং বড় বোন মুরিয়েলের সাথে মার্গারেট, কিশোর যাত্রার জন্য অর্থ প্রদানের জন্য পকেট অর্থ সংরক্ষণ করেছিলেন। আলফ্রেড রবার্টস ছিলেন একজন অ্যালার্মম্যান এবং মেথডিস্ট স্থানীয় প্রচারক, এবং কঠোর ওয়েসলিয়ান মেথডিস্ট হিসাবে তার মেয়েকে ফিঙ্কিন স্ট্রিট মেথডিস্ট চার্চের ভেতর নিয়ে এসেছিলেন। তিনি একটি লিবারেল পরিবারের কাছ থেকে এসেছিলেন (কিন্তু স্থানীয় সরকারে তখন প্রথাগত ছিল) স্বাধীন হিসেবে দাঁড়িয়েছিলেন। ১৯৪৫-৪৬ সাল থেকে তিনি গ্রান্টহ্যামের মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং ১৯৫০ সালে লেবার পার্টির গ্রান্টহ্যাম কাউন্সিলের প্রথম সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের পর ১৯৫২ সালে অ্যালার্মম্যান হিসাবে পদ লাভ করেন। মার্গারেট রবার্টস হান্টিংটর রোড প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগ দেন এবং কেস্তিভেন এবং গ্র্যান্থাম গার্লস স্কুল, একটি ব্যাকরণ স্কুল থেকে বৃত্তি লাভ করেন। তার স্কুল রিপোর্ট হার্ড কাজ এবং ক্রমাগত উন্নতি দেখিয়েছেন; তার extracurricular কার্যক্রম পিয়ানো, ক্ষেত্র হকি, কবিতা recitals, সাঁতার কাটা এবং হাঁটা অন্তর্ভুক্ত। তিনি ১৯৪২-৪৩ থেকে প্রধান মেয়ে ছিলেন। উচ্চতর ছয় বছরে তিনি অক্সফোর্ডের সোমবার কলেজে রসায়নবিষয়ক গবেষণার জন্য বৃত্তি প্রদানের জন্য আবেদন করেছিলেন, তবে সেই সময় তিনি একটি মহিলা কলেজে ছিলেন, কিন্তু প্রথমবারের মতো তাকে প্রত্যাখ্যান করা হয় এবং অন্য প্রার্থীর প্রত্যাহারের পরেই তাকে জায়গা দেওয়া হয়। অক্সফোর্ড: ১৯৪৩-১৯৪৭ রবার্টস অক্সফোর্ডে ১৯৪৩ সালে স্নাতক এবং ১৯৪৭ সালে স্নাতক হন দ্বিতীয়-শ্রেণীর অনার্স সহ, চার বছরের রসায়ন স্নাতকের স্নাতকের ডিগ্রী, ডোরথি হডকিনের তত্ত্বাবধানে এক্স-রে স্ফটিকোগ্রাফিতে বিশেষজ্ঞ। তার গবেষণায় এন্টিবায়োটিক গ্র্যামিসিডিনের গঠন ছিল। থ্যাচার নিজে রসায়ন অধ্যয়ন করার জন্য নিজেকে সম্পূর্ণরূপে উৎসর্গ করেননি কারণ তিনি অল্প সময়ের জন্য রসায়নবিদ ছিলেন। বিষয় নিয়ে কাজ করার সময়ও, তিনি আইন ও রাজনীতির দিকে ইতিমধ্যেই ভাবছেন। তিনি প্রথম নারী হবার চেয়ে বিজ্ঞান ডিগ্রি নিয়ে প্রথম প্রধানমন্ত্রী হওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন, এবং প্রধানমন্ত্রী হিসেবে একজন নারী কলেজ হিসেবে সোমবারি সংরক্ষণের চেষ্টা করেছিলেন। অক্সফোর্ডে তার সময়কালে, তিনি তার বিচ্ছিন্ন এবং গুরুতর মনোভাবের জন্য সুপরিচিত ছিলেন। তার প্রথম প্রেমিক, টনি ব্রায় (১৯২৬-২০১৪), তিনি স্মরণ করেছিলেন যে তিনি "খুব চিন্তাশীল এবং খুব ভাল কথোপকথনবাদী ছিলেন। সম্ভবত এটি আমাকে আগ্রহী করে। তিনি সাধারণ বিষয়গুলিতে ভাল ছিলেন।" একটি মেয়ে হিসাবে রাজনীতির জন্য তার উত্সাহ তাকে "অস্বাভাবিক" বলে মনে করে। স্নাতকোত্তর কর্মজীবন: ১৯৪৭-১৯৫১ স্নাতকোত্তর পর, রবার্টস ম্যানিংট্রি কাছাকাছি বিএক্স প্লাস্টিকের গবেষণা রসায়নবিদ হিসেবে কাজ করার জন্য এসেক্সে কলচেস্টার চলে যান। ১৯৪৮ সালে তিনি ইম্পেরিয়াল কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ (আইসিআই) -তে চাকরির জন্য আবেদন করেছিলেন, কিন্তু কর্মচারী বিভাগ তাকে "মাথা ঘোরা, হঠাৎ এবং বিপজ্জনকভাবে স্ব-মতামত" হিসাবে মূল্যায়ন করার পরে প্রত্যাখ্যান করা হয়েছিল। আগর (২০১১) যুক্তি দেন যে আধুনিক বৈজ্ঞানিক গবেষণা সম্পর্কে তার বোঝাপড়া প্রধানমন্ত্রীর মতামতকে প্রভাবিত করবে। রবার্টস স্থানীয় কনজারভেটিভ অ্যাসোসিয়েশনের সাথে যোগ দেন এবং ১৯৪৮ সালে ইউনিভার্সিটি গ্রাজুয়েট কনজারভেটিভ অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধি হিসেবে ওয়েলসের লল্যান্ডডনোতে পার্টির সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। এদিকে, তিনি ভার্মিন ক্লাবের উচ্চপদস্থ অধিভুক্ত হন, তৃণমূল কনজারভেটিভদের একটি গ্রুপ আনুনিয়িন বেভান কর্তৃক অপমানজনক মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় গঠিত। তার অক্সফোর্ড বন্ধুদের মধ্যে একজন ছিলেন কেন্টের ডার্টফোর্ড কনজারভেটিভ অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান, যিনি প্রার্থীদের সন্ধান করছেন। অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তারা তার দ্বারা এতটাই প্রভাবিত হন যে তারা তাকে আবেদন করার জন্য অনুরোধ করেছিল, যদিও তিনি দলের অনুমোদিত তালিকাতে ছিলেন না; জানুয়ারী ১৯৫০ (২৪ বছর বয়সে) নির্বাচিত হন এবং পূর্ববর্তী পোস্টে অনুমোদিত তালিকায় যোগ দেন। কর্মজীবন থ্যাচার ১৯৫৯ সালে উত্তর লন্ডন থেকে কনজারভেটিভ দলের এমপি হন । তিনি হাউজ অফ কমন্সে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। ব্রিটেনের ইতিহাসে একমাত্র নারী প্রধানমন্ত্রী মার্গারেট থ্যাচার কনজারভেটিভ পার্টি থেকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ব্রিটেনের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী হয়েও যে ভাবে শক্ত হাতে, বিভিন্ন বাধা অগ্রাহ্য করে তিনি ব্রিটেনের অর্থনীতিতে বৈপব্লিক সংস্কার এনেছিলেন, তার জন্য তিনি আয়রন লেডি হিসিবে পরিচিতি পেয়েছিলেন। মৃত্যু মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত কারণে ৮ এপ্রিল ২০১৩ সকালে ৮৭ বছর বয়সে পরলোকগমণ করেন তিনি। তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ বিষয়শ্রেণী:যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বিষয়শ্রেণী:১৯২৫-এ জন্ম বিষয়শ্রেণী:২০১৩-এ মৃত্যু বিষয়শ্রেণী:২০শ শতাব্দীর ব্রিটিশ লেখিকা বিষয়শ্রেণী:২০শ শতাব্দীর ইংরেজ লেখক বিষয়শ্রেণী:২১শ শতাব্দীর ব্রিটিশ লেখিকা বিষয়শ্রেণী:ইংল্যান্ডে রোগ সংক্রান্ত মৃত্যু বিষয়শ্রেণী:ইংরেজ রসায়নবিদ বিষয়শ্রেণী:ইংরেজ আত্মজীবনীকার বিষয়শ্রেণী:রক্ষণশীল দলের (যুক্তরাজ্য) নেতা বিষয়শ্রেণী:স্নায়ুযুদ্ধের ব্যক্তিত্ব বিষয়শ্রেণী:ইউরোপীয় কাউন্সিলের সভাপতি বিষয়শ্রেণী:বিরোধীদলীয় নেত্রী বিষয়শ্রেণী:মহিলা প্রধানমন্ত্রী
মার্গারেট থ্যাচার
জঁ-পিয়ের রাফার‌্যাঁ () (জন্ম ৩ আগস্ট ১৯৪৮) ফ্রান্সের সাবেক প্রধানমন্ত্রী। তিনি ২০০২ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রীত্ব করেছিলেন। এছাড়া তিনি ২০১১ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত সিনেটের উপ-সভাপতি ছিলেন। প্রারম্ভিক জীবন রাফারাঁ ১৯৪৮ সালের ৩রা আগস্ট ফ্রান্সের পোয়াতিয়ে শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা জঁ রাফারাঁ ছিলেন পিয়ের মঁদেস-ফ্রঁস সরকারের (১৯৫৪-১৯৫৫) কৃষি উপমন্ত্রী। তিনি পান্থেওন-আসাস বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিষয়ে পড়াশোনা করেন, এবং পরে ইএসসিপি ইউরোপ বিজনেস স্কুল থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি বিপণনে তার পেশাদারী কর্মজীবন শুরু করেন। রাজনৈতিক জীবন সরকারি দায়িত্ব ১৯৯৫ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে অধিকাংশ ইউডিএফ রাজনীতিবিদ এদুয়ার বালাদুরকে সমর্থন করেন, কিন্তু তিনি জাক শিরাকের পক্ষ নেন। ফলাফলস্বরূপ তিনি অ্যালাঁ জুপের মন্ত্রিসভায় (১৯৯৫-১৯৯৭) ক্ষুদ্র ও মাঝারি-আকারের কোম্পানি, বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রী হিসেবে মনোনীত হন। প্রধানমন্ত্রিত্ব ২০০২ সালে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে তিনি উনিওঁ পুর অ্যাঁ মুভমাঁ পপ্যুলেরের হয়ে জাক শিরাকের পক্ষে কাজ করেন। পুনঃনির্বাচনের পর শিরাক রাজনৈতিক পুনর্গঠনের ইচ্ছা প্রকাশ করেন। এছাড়া বামপন্থী ভোটারদের দ্বারা বিশেষ দ্বিতীয় রাউন্ডে নির্বাচিত শিরাক মন্ত্রিসভা ও ২০০২ সালের জুনের আইনি ক্যাম্পেইন পরিচালনার জন্য একজন মধ্যপন্থীর খোঁজ করেন। রাফারাঁ এই দলের পুনর্গঠনে অংশ নেন। তিনি ইরাকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপের সমালোচনা করেন। সম্মাননা পাদটীকা তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:১৯৪৮-এ জন্ম বিষয়শ্রেণী:ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী বিষয়শ্রেণী:জীবিত ব্যক্তি
জঁ-পিয়ের রাফারাঁ
জর্জ বার্নার্ড শ (; ২৬ জুলাই ১৮৫৬ – ২ নভেম্বর ১৯৫০) একজন আইরিশ নাট্যকার, সমালোচক, বিসংবাদী এবং রাজনৈতিক কর্মী। ১৮৮০-এর দশক থেকে শুরু করে তার মৃত্যুর পরও পশ্চিমা মঞ্চনাটক, সংস্কৃতি ও রাজনীতিতে তার প্রভাব বিস্তৃত। তিনি ম্যান অ্যান্ড সুপারম্যান (১৯০২), পিগম্যালিয়ন (১৯১২) ও সেন্ট জোন (১৯২৩)-সহ ষাটের অধিক নাটক রচনা করেছেন। সমসাময়িক ব্যঙ্গরচনা থেকে শুরু করে ঐতিহাসিক রূপক কাহিনি দিয়ে তিনি তার প্রজন্মের অন্যতম নাট্যকার হিসেবে প্রসিদ্ধি অর্জন করেন এবং ১৯২৫ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। তিনি লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিক্সের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। যদিও তার লাভজনক লেখালেখির শুরু ' সঙ্গীত সাংবাদিকতা ' ও সাহিত্য সমালোচনার মাধ্যমে। কিন্তু তার প্রতিভার সম্পূর্ণ বিকাশ ঘটে নাটকে, এছাড়াও বার্নাড 'শ ছিলেন একাধারে প্রাবন্ধিক, উপন্যাসিক এবং ছোট গল্পকার। জর্জ বার্নার্ড শ'র একটি মহৎ গুণ ছিল, আর তা হলো সামাজিক বিভিন্ন ধরনের সমস্যাগুলো হাস্যরসের ছদ্মাবরণে তিনি অত্যন্ত দক্ষ শিল্পীর হাতে ফুটিয়ে তুলতে পারতেন। শিক্ষা, বিয়ে, ধর্ম, সরকার, স্বাস্থ্যসেবা এবং শ্রেণী-সুবিধাই ছিল জর্জ বার্নার্ড শ'র লেখার বিষয়বস্তু। অধিকাংশ লেখাতেই শ্রমজীবী মানুষের শোষণের বিপক্ষে তার অবস্থান ছিল সুস্পষ্ট। একজন কট্টর সমাজতান্ত্রিক হিসেবে ফ্যাবিয়ান সোসাইটির পক্ষে জর্জ বার্নার্ড শ' অনেক বক্তৃতা দেন ও পুস্তিকা রচনা করেন। ১৯৫০ সালের ২ নভেম্বর ইংল্যান্ডের হার্টফোর্ডশায়ারে মৃত্যুবরণ করেন। শয়ের মৃত্যুর পর থেকে তার সৃষ্টিকর্ম নিয়ে পাণ্ডিত্যপূর্ণ ও সমালোচনামূলক মতামতে ভিন্নতা দেখা যায়, কিন্তু নিয়মিতই তিনি সেরা ব্রিটিশ নাট্যকার রেটিংয়ে উইলিয়াম শেকসপিয়রের পরপরই দ্বিতীয় সেরা হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। গবেষকেরা ইংরেজি ভাষার নাট্যকারদের প্রজন্মে তার ব্যাপক প্রভাব স্বীকার করে থাকেন। শয়ের মতাদর্শ ও সেগুলো প্রকাশ ভঙ্গিমাকে বর্ণনা করতে শ্যাভিয়ান (Shavian) শব্দটি ইংরেজি ভাষায় যুক্ত হয়। জীবনী প্রারম্ভিক জীবন থাম্ব|upright|alt=Exterior of modest city house|শয়ের জন্মস্থান (২০১২ সালের চিত্র)। প্লাকে লেখা রয়েছে "বহু নাটকের রচয়িতা বার্নার্ড শ ১৮৫৬ সালের ২৬শে জুলাই এই বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। বার্নার্ড শ ডাবলিনের নিম্ন মধ্যবিত্ত অংশ পর্টোবেলোর ৩ আপার সাইন স্ট্রিটে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি জর্জ কার শ (১৮১৪-১৮৮৫) এবং লুসিন্ডা এলিজাবেথ (বেসি) শ'র (বিবাহপূর্ব গার্লি; ১৮৩০-১৯১৩) সর্বকনিষ্ঠ সন্তান ও একমাত্র পুত্র। তার বড় বোনেরা হলেন লুসিন্ডা (লুসি) ফ্রান্সেস (১৮৫৩-১৯২০) ও এলিনর অ্যাগনেস (১৮৫৫-১৮৭৬)। শ পরিবার ইংরেজ বংশোদ্ভূত এবং তারা আয়ারল্যান্ডের বিত্তশালী প্রটেস্ট্যান্ট অ্যাসেন্ড্যান্সি ছিলেন। জর্জ কার শ ব্যর্থ ও মদ্যপ এবং এই পরিবারের সবচেয়ে কম সফল সদস্য ছিলেন। তার আত্মীয়স্বজনেরা তার জন্য সরকারি দপ্তরে কাজ বা দায়িত্বহীন সম্মানীপূর্ণ একটি কাজের ব্যবস্থা করে দেন। এই কাজ থেকে ১৮৫০-এর গোড়ার দিক থেকে তিনি পেনশন পেতেন। তাছাড়া তিনি শস্য বণিক হিসেবে অনিয়মিতভাবে কাজ করতেন। ১৮৫২ সালে তিনি বেসি গার্লিকে বিয়ে করেন। শয়ের জীবনীকার মাইকেল হলরয়েডের মতে বেসি তার দাদীর অত্যাচার থেকে মুক্তি পেতে বিয়ে করেন। জর্জের বণিক হওয়ার উদ্দেশ্য সম্পর্কে হলরয়েড ও অন্যরা যেমনটা অনুমান করেন, সেরকম হলে যেহেতু বেসি তার পরিবারের পক্ষ থেকে খুব বেশি অর্থ-সম্পদ নিয়ে আসতে পারেনি তাই জর্জ হতাশ ছিলেন। তিনি তার ব্যর্থ ও মদ্যপ স্বামীকে অপছন্দ করতেন, যেই জীবনকে পরবর্তীকালে তাদের পুত্র "জীর্ণ-কেতাদুরস্ত দারিদ্র" বলে বর্ণনা করেন। শয়ের জন্মের সময় ডাবলিনের সঙ্গীতনাট্য দলের পরিচিত জমকালো ব্যক্তিত্ব জর্জ জন লির সাথে তার মাতার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক হয়। শ আজীবন ধারণা করে আসেন তিনি লির ঔরসজাত সন্তান, তবে শয়ের সাহিত্য সমালোচক ও পণ্ডিতদের মধ্যে এই নিয়ে কোন ঐকমত্য পাওয়া যায়নি। কৈশোরে তার মাতা তার প্রতি রূঢ় ছিলেন না, তবুও শ পরবর্তীকালে বলেন তার প্রতি তার মায়ের উদাসীনতা ও স্নেহের ঘাটতি তাকে খুবই পীড়া দিত। তিনি তার বাড়িতে লব্ধ সঙ্গীত থেকে সান্ত্বনা নিতেন। লি বাদকদল পরিচালক ও গানের শিক্ষক ছিলেন; বেসির মেৎসো-সোপরানো গাওয়ার গলা সুমধুর ছিল এবং তাতে লিয়ের গান গাওয়ার অগতানুগতিক পদ্ধতির প্রভাব ছিল। শ পরিবারের বাড়ি প্রায়ই সঙ্গীতে পরিপূর্ণ থাকত, এবং প্রায়ই গায়ক ও বাদকদলের জনসমাবেশ থাকত। ১৮৬২ সালে লি ও শ পরিবার ডাবলিনের ধনাঢ্য অংশ ১ নং হ্যাচ স্ট্রিটে এবং পরে কিলিনি উপসাগরের পার্শ্ববর্তী ডকি পাহাড়ে একটি কুঠিরে একত্রে একটি বাড়িতে থাকতে সম্মত হয়। শয়ের কাছে ডাবলিনের কম স্বাস্থ্যকর অংশটি বেদনা ও যন্ত্রণাদায়ক এবং কুঠিরটি সুখকর মনে হয়। লিয়ের শিক্ষার্থীরা তাকে প্রায়ই বিভিন্ন বই দিত, কিশোর শ তা খুব মনোযোগ দিয়ে পড়তেন; এবং তাদের কাছ থেকে দলীয় সঙ্গীত ও গীতিনাটকের পূর্ণ সাঙ্গীতিক জ্ঞান অর্জন করেন। এতে করে তিনি সাহিত্যের বিস্তৃত পরিসরের সাথে পরিচিত হন। ১৮৬৫ থেকে ১৮৭১ সালের মধ্যে শ চারটি বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন এবং তিনি প্রতিটি বিদ্যালয়ের পাঠদান অপছন্দ করেন। এই চারটি বিদ্যালয় ছিল আয়ারল্যান্ডের মেথোডিস্ট চার্চ পরিচালিত ওয়েসলিয়ান কনেক্সিওনাল স্কুল; ডকির নিকটবর্তী একটি বেসরকারি বিদ্যালয়; ডাবলিন সেন্ট্রাল মডেল বয়েজ স্কুল; ও ডাবলিন ইংলিশ সায়েন্টিফিক অ্যান্ড কমার্শিয়াল ডে স্কুল। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে তার অভিজ্ঞতা প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা থেকে তার মোহমুক্তি ঘটায়। তিনি পরবর্তীকালে লিখেন, "বিদ্যালয় ও বিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ হল কারাগার এবং কারাপরিদর্শক, যা বাচ্চাদেরকে তাদের পিতামাতাকে বিরক্ত করা এবং পিতামাতাকে তাদের দায়িত্ব পালন করা থেকে বিরত রাখে।" ১৮৭১ সালের অক্টোবর মাসে তিনি বিদ্যালয়ের পাঠগ্রহণ বাদ দিয়ে ডাবলিনের একটি ভূমি প্রতিনিধির ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অধস্তন কেরানি হিসেবে যোগদান করে। সেখানে তিনি কঠোর পরিশ্রম করে অচিরেই প্রধান কোষাধ্যক্ষ পদে উন্নীত হন। এই সময়ে শ "জর্জ শ" নামে পরিচিত ছিলেন, ১৮৭৬ সালের পর তিনি তার নাম থেকে "জর্জ" অংশটি বাদ দেন এবং নিজেকে "বার্নার্ড শ" হিসেবে পরিচয় দিতেন। ১৮৭৩ সালের জুন মাসে লি লন্ডনের উদ্দেশ্যে ডাবলিন ছেড়ে যান এবং আর ফিরে আসেননি। এক পক্ষকাল পর বেসি তার দুই কন্যাকে নিয়ে লির নিকট চলে যান। তার মাতা কেন লির নিকট চলে যান এই নিয়ে শয়ের ব্যাখ্যা হল লির আর্থিক অবদান ছাড়া এই যৌথ পরিবার ভেঙ্গে পড়ত। ডাবলিনে পিতার সাথে থেকে যাওয়া শ সঙ্গীতের অনুপস্থিতি কাটাতে নিজে নিজেই পিয়ানো বাজানো শিখতে শুরু করেন। লন্ডন ১৮৭৬ সালের প্রারম্ভে শ তার মায়ের কাছ থেকে জানতে পারেন অ্যাগনেস যক্ষ্মা রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুশয্যায়। তিনি ভূমি প্রতিনিধির চাকরি থেকে অব্যহতি দেন এবং মার্চ মাসে অ্যাগনেসের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার অংশ নিয়ে ইংল্যান্ডে তার মাতা ও লুসির কাছে যান। এরপর তিনি আর কখনো আয়ারল্যান্ডে থাকেননি এবং পরবর্তী ২৯ বছর সেখানে যাননি। শুরুতে শ লন্ডনে কেরানির চাকরি নিতে অস্বীকৃতি জানান। তার মাতা তার দক্ষিণ কেনসিংটনের বাড়িতে তাকে বিনা খরচে থাকতে অনুমতি দেন, তথাপি তার আয়ের প্রয়োজন ছিল। তিনি কৈশোর থেকে তার চিত্রশিল্পী হওয়ার উচ্চাকাঙ্ক্ষা ত্যাগ করেন এবং জীবিকার জন্য তখনো লেখনীর কথা ভাবেননি, কিন্তু লি তার জন্য একটি ছোট কাজ পান। তাকে ব্যঙ্গাত্মক সাপ্তাহিকী দ্য হর্নেট-এ লি'র নামে লেখক-কর্মচারী হিসেবে সঙ্গীতের কলাম লিখতে হবে। লন্ডনে আসার পর বেসির সাথে লিয়ের সম্পর্ক খারাপ হয়ে যায়। শ লিয়ের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে যান। লি তার জন্য মহড়ার পিয়ানোবাদক ও অনিয়মিত গায়ক হিসেবে কাজের সন্ধান করে দিতেন। ইতোমধ্যে শ দাপ্তরিক কাজের জন্য আবেদন করতে শুরু করেন। অন্তর্বর্তী সময়ে তিনি ব্রিটিশ মিউজিয়ামের (ব্রিটিশ লাইব্রেরির অগ্রদূত) পাঠকক্ষের পাঠক পাস জোগাড় করেন এবং সপ্তাহান্তে সেখানে পড়ালেখা করে সময় ব্যয় করতেন। নাটক রচনায় তার প্রথম প্রচেষ্টা শুরু হয় ১৮৭৮ সালে, তিনি ধর্মীয় বিষয়বস্তুর উপর অমিত্রাক্ষর ছন্দে একটি ব্যঙ্গধর্মী রচনা লিখেন। তিনি অসমাপ্ত অবস্থায় লেখাটি বাদ দেন এবং একটি উপন্যাস লেখার প্রয়াস চালান। তার প্রথম সম্পূর্ণ উপন্যাস হল ইম্যাচুরিটি (১৮৭৯), যা এত ভয়াবহ ছিল যে তা প্রকাশকদের মনোযোগ কাড়তে সমর্থ হয়নি এবং ১৯৩০-এর দশকের পূর্বে তা প্রকাশিত হয়নি। তিনি ১৮৭৯-৮০ সালে নব্য প্রতিষ্ঠিত এডিসন টেলিফোন কোম্পানিতে যোগদান করেন, এবং ডাবলিনের মত দ্রুত পদোন্নতি লাভ করেন। তবে এডিসন কোম্পানি তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী বেল টেলিফোন কোম্পানির সাথে একীভূত হলে শ নতুন কোম্পানিতে যোগ দেননি। এরপর তিনি লেখক হিসেবে পূর্ণ কর্মজীবন শুরু করেন। পরবর্তী চার বছরে শ লেখনী থেকে নামমাত্র উপার্জন করেন এবং তার মায়ের পৃষ্ঠপোষকতায় জীবিকা নির্বাহ করেন। ১৮৮১ সালে আর্থিক কারণে এবং নীতিগত কারণে তিনি নিরামিষাশী হয়ে যান। গুটিবসন্তের কারণে মুখে থেকে যাওয়া দাগ লুকানোর জন্য তিনি দাঁড়ি রাখা শুরু করেন। দ্রুত সফলতার জন্য তিনি দি ইরেশনাল নট এবং লাভ অ্যামং দি আর্টিস্টস নামে দুটি উপন্যাস লেখেন। কিন্তু কোনটির জন্যই প্রকাশক পাননি। কয়েক বছর পর উপন্যাস দুটি সমাজতান্ত্রিক সাময়িকী আওয়ার কর্নার-এ ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়। সাহিত্যকর্ম নাটক শ ১৯৩৪ সালে তার নাটকের একটি সংকলিত সংস্করণ প্রকাশ করেন, যাতে ৪২টি নাটক ছিল। তিনি তার জীবনের বাকি ১৬ বছরে আরও ১২টি নাটক লিখেন, যার অধিকাংশই একাঙ্কিকা। তার প্রকাশিত কাজ থেকে বাদ দেওয়া পূর্বের আটটি নাটকসহ তার প্রকাশিত নাটকের সংখ্যা মোট ৬২টি; যা তাকে বিশ্বের সবচেয়ে প্রতিভাবান নাট্যকারের খ্যাতি এনে দেয়। তার নাটকগুলো বিশ্বের বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়েছে। প্রারম্ভিক সৃষ্টিকর্ম Widowers' Houses The Philanderer Mrs Warren's Profession Arms and the Man Candida You Never Can Tell The Devil's Disciple Caesar and Cleopatra (play)|Caesar and Cleopatra Captain Brassbound's Conversion The Admirable Bashville Man and Superman John Bull's Other Island Major Barbara The Doctor's Dilemma Getting Married Misalliance Fanny's First Play Androcles and the Lion Pygmalion Heartbreak House Saint Joan The Apple Cart Too True to Be Good On the Rocks The Simpleton of the Unexpected Isles The Millionairess Geneva In Good King Charles's Golden Days Buoyant Billions স্বল্পদৈর্ঘ্য নাটক The Man of Destiny How He Lied to Her Husband Passion, Poison, and Petrifaction The Shewing-Up of Blanco Posnet Press Cuttings The Fascinating Foundling The Glimpse of Reality The Dark Lady of the Sonnets Overruled The Music Cure Great Catherine: Whom Glory Still Adores The Inca of Perusalem O'Flaherty V.C. Augustus Does His Bit Annajanska, the Bolshevik Empress A Village Wooing The Six of Calais Cymbeline Refinished Farfetched Fables Shakes versus Shav Why She Would Not টীকা তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ George Bernard Shaw 1937 color portrait by Madame Yevonde Bernard Shaw photographs held at LSE Library Blog featuring posts on a project to catalogue the George Bernard Shaw photographs at LSE Library 1927 film made in Phonofilm at SilentEra 1928 film made in Movietone at SilentEra International Shaw Society, includes a chronology of Shaw's works The Shaw Society, UK, established in 1941 The Bernard Shaw Society, New York Shaw Chicago Theater A theater dedicated to the works of Shaw & his contemporaries. Shaw Festival Niagara-on-the-Lake, Ontario, Canada theatre that specializes in plays by Bernard Shaw and his contemporaries and plays about his era (1856–1950) The Nobel Prize Biography on Shaw, From Nobel Lectures, Literature 1901–1967, Editor Horst Frenz, Elsevier Publishing Company, Amsterdam, (1969). Dan H. Laurence/Shaw Collection in the University of Guelph Library, Archival and Special Collections, holds more than 3,000 items related to his writings and career Cashel Byron's Profession and the Anti-Romance Novels of George Bernard Shaw George Bernard Shaw Timeline George Bernard Shaw's collection at the Harry Ransom Center at The University of Texas at Austin Audio recordings of keynote lectures at the GB Shaw: Back in Town Conference, Dublin 2012. George Bernard Shaw, Maxims for Revolutionists (1903) বিষয়শ্রেণী:১৮৫৬-এ জন্ম বিষয়শ্রেণী:১৯৫০-এ মৃত্যু বিষয়শ্রেণী:১৯শ শতাব্দীর আইরিশ নাট্যকার বিষয়শ্রেণী:১৯শ শতাব্দীর ব্রিটিশ নাট্যকার বিষয়শ্রেণী:২০শ শতাব্দীর আইরিশ নাট্যকার বিষয়শ্রেণী:২০শ শতাব্দীর ব্রিটিশ নাট্যকার বিষয়শ্রেণী:আইরিশ পুরুষ চিত্রনাট্যকার বিষয়শ্রেণী:আইরিশ পুরুষ নাট্যকার বিষয়শ্রেণী:আইরিশ সঙ্গীত সমালোচক বিষয়শ্রেণী:আইরিশ সমাজতন্ত্রী বিষয়শ্রেণী:আইরিশ নোবেল বিজয়ী বিষয়শ্রেণী:ইংরেজ বংশোদ্ভূত আইরিশ ব্যক্তি বিষয়শ্রেণী:ব্রিটিশ পুরুষ চিত্রনাট্যকার বিষয়শ্রেণী:ব্রিটিশ পুরুষ নাট্যকার বিষয়শ্রেণী:ব্রিটিশ সঙ্গীত সমালোচক বিষয়শ্রেণী:ব্রিটিশ সমাজতন্ত্রী বিষয়শ্রেণী:ব্রিটিশ নোবেল বিজয়ী বিষয়শ্রেণী:ধ্রুপদী সঙ্গীত সমালোচক বিষয়শ্রেণী:ভিক্টোরীয় ঔপন্যাসিক বিষয়শ্রেণী:শ্রেষ্ঠ উপযোগকৃত চিত্রনাট্য বিভাগে একাডেমি পুরস্কার বিজয়ী বিষয়শ্রেণী:নোবেল বিজয়ী সাহিত্যিক বিষয়শ্রেণী:ফ্যাবিয়ান সোসাইটির সদস্য বিষয়শ্রেণী:রয়েল সোসাইটি অব লিটারেচারের ফেলো বিষয়শ্রেণী:সেন্ট প্যানক্রেস মেট্রোপলিটান বরা কাউন্সিলের সদস্য বিষয়শ্রেণী:ইংল্যান্ডে দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যু
জর্জ বার্নার্ড শ'
মেরিলিন মনরো (; জন্ম নর্মা জিন মর্টেনসন; জুন ১, ১৯২৬ – আগস্ট ৪, ১৯৬২) ছিলেন মার্কিন অভিনেত্রী, মডেল এবং গায়ক, যিনি কৌতুকপূর্ণ "স্বর্ণকেশী বোম্বশেল" চরিত্রে অভিনয়ের জন্য বিখ্যাত। তিনি তার সময়ের একজন প্রধান যৌনতার প্রতীক হয়ে ওঠেন এবং ১৯৫০ ও ১৯৬০-এর দশকে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বাণিজ্যিকভাবে সফল চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। মাত্র এক দশক ধরে শীর্ষস্থানীয় অভিনেত্রীদের একজন ছিলেন মনরো, তবে তার চলচ্চিত্রগুলি ১৯৬২ সালে তার মৃত্যুর সময় পর্যন্ত ২০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ( সালে $ বিলিয়ন সমমূল্যের) আয় করেছিল। অর্ধ শতাব্দীরও বেশি সময় পরে, তিনি একজন জনপ্রিয় সংস্কৃতি আইকন হিসাবে এযাবৎকাল পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছেন। মনরো লস অ্যাঞ্জেলেসে জন্মগ্রহণ করেছিলেন এবং বেড়ে উঠেছিলেন। শৈশবের বেশিভাগ সময় শিশুপল্লীতে কাটিয়ে ১৬ বছর বয়সে তিনি বিয়ে করেছিলেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় যুদ্ধের প্রচেষ্টার অংশ হিসাবে একটি কারখানায় কাজ করছিলেন যখন তিনি ফার্স্ট মোশন পিকচার ইউনিটের একজন আলোকচিত্রীর সাথে দেখা করেছিলেন এবং একজন সফল পিন-আপ মডেল হিসাবে কর্মজীবন শুরু করেছিলেন। যা পরবর্তীতে ১৯৪৬ সালে তাকে টুয়েন্টিয়েথ সেঞ্চুরি ফক্স এবং কলাম্বিয়া পিকচার্সের সাথে চুক্তিবদ্ধ করে। চলচ্চিত্রে বেশকয়েকটি গৌণ চরিত্রে অভিনয়ের পরে, তিনি ১৯৫০ সালের শেষদিকে ফক্সের সাথে নতুন চুক্তি স্বাক্ষর করেন। পরের দু'বছর ধরে তিনি অ্যাজ ইয়াং অ্যাজ ইউ ফিল এবং মাংকি বিজনেস সহ বেশকয়েকটি হাস্যরসধর্মী চরিত্রে এবং ক্লাশ বাই নাইট এবং ডোন'ট বদার টু নক নাট্য চলচ্চিত্রে অভিনয় করে জনপ্রিয় হয়েছিলেন। তিনি একটি কেলেঙ্কারির মুখোমুখি হয়েছিলেন যখন জানা যায় যে তারকা হওয়ার আগে তিনি নগ্ন আলোকচিত্রের মডেল হিসাবে কাজ করেছিলেন, যদিও এর ফলে তার কর্মজীবনে কোনো প্রভাব পরে নি এবং পরিবর্তে তার চলচ্চিত্রের প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধি পায়। ১৯৫৩ সালে হলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় তারকা হিসাবে মনরো, চলচ্চিত্র নোয়া নায়াগ্রা চলচ্চিত্রে মূল চরিত্রে উপস্থিত হন, যা মূলত তার যৌন আবেদনকে কেন্দ্র করে এবং হাস্যরসধর্মী জেন্টলম্যান প্রেফার ব্লন্ডস এবং হাউ টু মেরি আ মিলিয়নিয়ার, যেগুলি তার তারকা ভাবমূর্তি "মূক স্বর্ণকেশী" হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করেছিল। একই বছর, তার নগ্ন আলোকচিত্রগুলি প্লেবয় সাময়িকীর প্রথম সংখ্যায় সেন্টারফোল্ড এবং প্রচ্ছদে প্রকাশ পায়। মনরো তার পুরো কর্মজীবন জুড়ে গণমাধ্যম ভাবমূর্তি ধরে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন, তবে স্টুডিওর মাধ্যমে তিনি টাইপকাস্ট এবং স্বল্প সম্মানি প্রাপ্তির কারণে হতাশ হয়েছিলেন। চলচ্চিত্রের প্রকল্প প্রত্যাখ্যানের জন্য ১৯৫৪ সালের গোড়ার দিকে তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছিল তবে তিনি তার কর্মজীবনে অন্যতম বৃহত্তম বক্স অফিস সাফল্য, দ্য সেভেন ইয়ার ইঞ্চ (১৯৫৫) চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে পেয়েছিলেন। স্টুডিও তখনো মনরোর চুক্তি পরিবর্তন করতে নারাজ থাকায়, ১৯৫৪ সালে তিনি নিজের চলচ্চিত্র প্রযোজনা সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৫৫ সাল পর্যন্ত সংস্থাটি গঠনে এবং অ্যাক্টর্স স্টুডিওতে অভিনয় পদ্ধতি অধ্যয়নে ব্যয় করেন তিনি। ১৯৫৫ সালের শেষের দিকে, ফক্স তাকে একটি নতুন চুক্তির আহবান করে, যেখানে তাকে আরো নিয়ন্ত্রিত থাকতে এবং আরো অধিক সম্মানি প্রদানের নিশ্চয়তা দেয়। তার পরবর্তী ভূমিকার মধ্যে বাস স্টপ (১৯৫৬) এবং তার প্রথম প্রযোজনায় দ্য প্রিন্স অ্যান্ড দ্য শোগার্ল (১৯৫৭) চলচ্চিত্রের জন্য তিনি সমালোচদের প্রশংসিত হয়েছিলেন। সমালোচনা ও বাণিজ্যিক সাফল্য, সাম লাইক ইট হট (১৯৫৯) চলচ্চিত্রে তার কাজের জন্য তিনি সেরা অভিনেত্রী বিভাগে গোল্ডেন গ্লোব জিতেছিলেন। তার সর্বশেষ সমাপ্ত চলচ্চিত্র নাট্যধর্মী দ্য মিসফিট্‌স ১৯৬১ সালে মুক্তি পায়। মনরোর অস্থির ব্যক্তিগত জীবন বেশ নজর কেড়েছিল। তিনি আসক্তি, হতাশা এবং উদ্বেগের সাথে জীবনযাপন করেছিলেন। অবসরপ্রাপ্ত বেসবল তারকা জো ডিমাগিও এবং নাট্যকার আর্থার মিলারের সাথে তার বিবাহের প্রচুর প্রচারণা হয়েছিল এবং উভয় বিবাহ বিচ্ছেদে পরিণতি পেয়েছিল। ১৯৬২ সালের ৪ আগস্ট, লস অ্যাঞ্জেলেসে তার বাড়িতে বার্বিটুয়েট্রেটের অতিরিক্ত সেবনের কারণে তিনি ৩৬ বছর বয়সে মারা যান। প্রাথমিকভাবে তার মৃত্যুর সম্ভাব্য কারণ আত্মহত্যা হিসাবে রায় দেওয়া হয়েছিল, যদিও তার মৃত্যুর পরবর্তী দশকগুলিতে বেশকয়েকটি ষড়যন্ত্র তত্ত্ব প্রস্তাবিত হয়েছিল। প্রাথমিক জীবন ও বিবাহ মনরো ১৯২৬ সালের ১ জুন ক্যালিফোর্নিয়ার লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টি হাসপাতালে জন্মগ্রহণ করেন। তার আসল নাম ছিল নর্মা জেন মর্টেনসন। তিনি গ্লাডিস পার্ল বেকারের (প্রদত্ত নাম মনরো, ১৯০২-১৯৮৪) তৃতীয় সন্তান। গ্লাডিস কনসলিডেটেড ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে ফিল্ম নেগেটিভ কাটার হিসেবে কাজ করতেন। গ্লাডিস পনের বছর বয়সে তার চেয়ে নয় বছরের বড় জন নিউটন বেকারকে বিয়ে করেন। তাদের দুই সন্তান রবার্ট (১৯১৭-১৯৩৩) এবং বার্নিস (জন্মঃ ১৯১৯)। ১৯২১ সালে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয় এবং বেকার তার সন্তানদের নিয়ে কেন্টাকি চলে যায়। মনরো তার ভাই বোনদের কথা জানতে পারে এবং তার বড় বোনের সাথে সাক্ষাৎ হয় তার ১২ বছর বয়সে। ১৯২৪ সালে গ্লাডিস তার দ্বিতীয় স্বামী মার্টিন এডওয়ার্ড মর্টেনসনের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। কিন্তু মনরো যখন গ্লাডিসের পেটে তখন তা অন্য কারো সন্তান জানতে পেরে মার্টিন ১৯২৮ সালে তাকে তালাক দেন। মনরোর পিতার পরিচয় অজ্ঞাত এবং বেকারই তার উপনাম হিসেবে ব্যবহৃত হত। ১৯৪২ সালের ১৯ জুন তার ১৬তম জন্মদিনের কয়েকদিন পরে তিনি তার প্রতিবেশীর পুত্র এয়ার ক্রাফট প্লান্টের একজন চাকরিজীবি জেমস "জিম" ডগার্থিকে বিয়ে করেন। মনরো স্কুল থেকে ড্রপ আউট হয়ে যান এবং গৃহিণী হয়ে যান। পরে তিনি এই প্রসঙ্গে বলেন, "বিয়ের ফলে অখুশিও হয়নি আবার সুখীও হয় নি। আমার স্বামী এবং আমি খুব কমই একে অপরের সাথে কথা বলতাম। এটা আমরা একে অপরের উপর রাগান্বিত ছিলাম সে জন্য নয়। আমাদের কথা বলার কিছু ছিল না। ফলে আমি অস্বস্তিতে ছিলাম।" অভিনয় জীবন মনেরোর অভিনয় জীবন শুরু হয় মডেলিং দিয়ে ১৯৪৬ সালে। এখানেই মনরো বাদামি বা ব্রাউনিস কালার চুল কে প্লাটিনাম হোয়াইটের এক আভা আনেন যা তার ট্রেডমার্ক বলা চলে। আর তার নামের পরিবর্তে নতুন নাম হয় মেরিলিন মনরো। ১৯৪৭ সালে টুয়েন্টিয়েথ সেঞ্চুরি ফক্স স্টুডিওর সাথে চুক্তি বদ্ধ হন মনরো এবং দুটি মুভিতে তাকে প্রথমবারের মত দেখা যায়। ১৯৪৯ সালে মনেরো আবার মডেলিংয়ে ফিরে আসেন। ১৯৫০ সালে অল অ্যাবাউট ইভ নামে চলচ্চিত্রে প্রথম অভিনয় করেন। ১৯৫৭ সালে মুক্তি পায় বিখ্যাত ছবি দ্য সেভেন ইয়ার ইচ। এছাড়াও হাউ টু মেরি আ মিলিয়নিয়ার, দ্য প্রিন্স অ্যান্ড দ্য শোগার্ল প্রভৃতি ছবিতে অভিনয় করে তিনি বিশ্বকে মন্ত্রমুগ্ধ করেন। সাম লাইক ইট হট ছবিতে অভিনয় করে তিনি শ্রেষ্ঠ সঙ্গীতধর্মী বা কমেডি অভিনেত্রী হিসেবে গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার লাভ করেন। মৃত্যু ১৯৬২ সালের ৫ আগস্ট লস অ্যাঞ্জেলেসের ব্রেন্টউডে মাত্র ৩৬ বছর বয়সে পরলোকগমন করেন মনরো। ধারণা করা হয়, মাত্রাতিরিক্ত ট্যাবলেট খেয়ে তিনি আত্মহত্যা করেছিলেন। চলচ্চিত্রের তালিকা ডেঞ্জারাস ইয়ার্স (১৯৪৭) স্কুডা হো! স্কুডা হে! (১৯৪৮) লেডিস অব দ্য কোরাস (১৯৪৮) লাভ হ্যাপি (১৯৪৯) আ টিকেট টু টমাহক (১৯৫০) দি আশফাল্ট জাঙ্গল (১৯৫০) অল অ্যাবাউট ইভ (১৯৫০) দ্য ফায়ারবল (১৯৫০) রাইট ক্রস (১৯৫১) হোম টাউন স্টোরি (১৯৫১) অ্যাজ ইয়ং অ্যাজ ইউ ফিল (১৯৫১) লাভ নেস্ট (১৯৫১) লেটস্‌ মেক ইট লিগাল (১৯৫১) ক্ল্যাস বাই নাইট (১৯৫২) উই আর নট ম্যারিড! (১৯৫২) ডোন্ট বদার টু নক (১৯৫২) মাঙ্কি বিজনেস (১৯৫২) ও হেনরিস ফুল হাউজ (১৯৫২) নায়াগ্রা (১৯৫৩) জেন্টলমেন প্রেফার ব্লন্ডিস (১৯৫৩) হাউ টু মেরি আ মিলিয়নিয়ার (১৯৫৩) রিভার অব নো রিটার্ন (১৯৫৪) দেয়ার্স নো বিজনেস লাইক শো বিজনেস (১৯৫৪) দ্য সেভেন ইয়ার ইচ (১৯৫৫) বাস স্টপ (১৯৫৬) দ্য প্রিন্স অ্যান্ড দ্য শোগার্ল (১৯৫৭) সাম লাইক ইট হট (১৯৫৯) দ্য মিসফিট্‌স (১৯৬০) সামথিংস গট টু গিভ (১৯৬২) টীকা তথ্যসূত্র উৎস বহিঃসংযোগ Monroe's file at the Federal Bureau of Investigation website "Marilyn Monroe: Still Life" A website containing clips and essays related to PBS's American Masters documentary on Monroe বিষয়শ্রেণী:১৯২৬-এ জন্ম বিষয়শ্রেণী:১৯৬২-এ মৃত্যু বিষয়শ্রেণী:মেরিলিন মনরো বিষয়শ্রেণী:২০শ শতাব্দীর মার্কিন অভিনেত্রী বিষয়শ্রেণী:২০শ শতাব্দীর মার্কিন গায়িকা বিষয়শ্রেণী:২০শ শতাব্দীর গায়িকা বিষয়শ্রেণী:মার্কিন নারী মডেল বিষয়শ্রেণী:গ্ল্যামার মডেল বিষয়শ্রেণী:প্লেবয় প্লেমেট (১৯৫৩–৫৯) বিষয়শ্রেণী:মার্কিন চলচ্চিত্র অভিনেত্রী বিষয়শ্রেণী:পদ্ধতি অভিনয়শিল্পী বিষয়শ্রেণী:মার্কিন গায়িকা বিষয়শ্রেণী:আরসিএ ভিক্টর শিল্পী বিষয়শ্রেণী:লস অ্যাঞ্জেলেসের মডেল বিষয়শ্রেণী:লস অ্যাঞ্জেলেসের অভিনেত্রী বিষয়শ্রেণী:লস অ্যাঞ্জেলেসের সঙ্গীতশিল্পী বিষয়শ্রেণী:ক্যালিফোর্নিয়ার নারী মডেল বিষয়শ্রেণী:গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার (সেরা অভিনেত্রী - সঙ্গীতধর্মী বা হাস্যরসাত্মক চলচ্চিত্র) বিজয়ী বিষয়শ্রেণী:রাল্ফ গ্রিনসনের অ্যানালিস্যান্ড বিষয়শ্রেণী:টুয়েন্টিয়েথ সেঞ্চুরি ফক্সের সাথে চুক্তিবদ্ধ বিষয়শ্রেণী:অ্যাক্টর্স স্টুডিওর প্রাক্তন শিক্ষার্থী বিষয়শ্রেণী:লি স্ট্রাসবার্গ থিয়েটার অ্যান্ড ফিল্ম ইনস্টিটিউটের প্রাক্তন শিক্ষার্থী বিষয়শ্রেণী:ইউনিভার্সিটি হাই স্কুলের (লস অ্যাঞ্জেলেস) প্রাক্তন শিক্ষার্থী বিষয়শ্রেণী:ভ্যান নাইস হাই স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষার্থী বিষয়শ্রেণী:মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যৌন কেলেঙ্কারি বিষয়শ্রেণী:আত্মহত্যাকারী সঙ্গীতশিল্পী বিষয়শ্রেণী:মার্কিন আত্মহত্যাকারী অভিনেত্রী বিষয়শ্রেণী:বার্বিটুয়েট্রেট সম্পর্কিত মৃত্যু বিষয়শ্রেণী:ক্যালিফোর্নিয়ায় ঔষধ সম্পর্কিত মৃত্যু বিষয়শ্রেণী:ওয়েস্টউড ভিলেজ মেমোরিয়াল পার্ক সিমেট্রিতে সমাহিত বিষয়শ্রেণী:মার্কিন নাস্তিক বিষয়শ্রেণী:মার্কিন ইহুদি অভিনেত্রী বিষয়শ্রেণী:সংস্কারকৃত ইহুদি ধর্মে ধর্মান্তরিত বিষয়শ্রেণী:ইহুদি নাস্তিক বিষয়শ্রেণী:ইহুদি নারী মডেল বিষয়শ্রেণী:ইহুদি সঙ্গীতশিল্পী বিষয়শ্রেণী:ক্যালিফোর্নিয়া গণতন্ত্রবাদী
মেরিলিন মনরো
ক্লদ্‌ মাকেলেলে (Claude Makélélé, জন্ম: ১৮ ফেব্রুয়ারি, ১৯৭৩) একজন সাবেক কৃতী ফরাসি ফুটবল খেলোয়াড় এবং বর্তমান সহকারী কোচ। খেলোয়াড়ি জীবনে তিনি নান্তেস, মার্সেই, সেলতা বিগো, রিয়াল মাদ্রিদ, চেলসি এবং সর্বশেষে অবসর নেওয়ার আগে প্যারিস সেইন্ট জার্মেই ক্লাবের পক্ষে মধ্যমাঠে খেলতেন। তিনি ফ্রান্স, স্পেন ও ইংল্যান্ডে লিগ শিরোপা জিতেন এবং রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে খেলার সময় ২০০১-০২ উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেন। তিনি ফ্রান্স জাতীয় ফুটবল দলের হয়ে ১৩ বছর আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। ২০০৬ সালে অনুষ্ঠিত ফিফা বিশ্বকাপে তিনি ফ্রান্সের প্রতিনিধিত্ব করেন। ক্যারিয়ার পরিসংখ্যান জাতীয় দল তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:১৯৭৩-এ জন্ম বিষয়শ্রেণী:জীবিত ব্যক্তি বিষয়শ্রেণী:কিনশাসার ক্রীড়াবিদ বিষয়শ্রেণী:ফরাসি ফুটবলার বিষয়শ্রেণী:ফ্রান্সের আন্তর্জাতিক ফুটবলার বিষয়শ্রেণী:রিয়াল মাদ্রিদ ফুটবল ক্লাবের খেলোয়াড় বিষয়শ্রেণী:সেলতা বিগোর খেলোয়াড় বিষয়শ্রেণী:চেলসি ফুটবল ক্লাবের খেলোয়াড় বিষয়শ্রেণী:লা লিগার খেলোয়াড় বিষয়শ্রেণী:প্রিমিয়ার লীগের খেলোয়াড় বিষয়শ্রেণী:লীগ ১-এর ম্যানেজার বিষয়শ্রেণী:লীগ ১-এর খেলোয়াড় বিষয়শ্রেণী:স্তাদ ব্রেস্তোয়া ২৯-এর খেলোয়াড় বিষয়শ্রেণী:ওলাঁপিক দ্য মার্সেইয়ের খেলোয়াড় বিষয়শ্রেণী:ফুটবল ক্লাব নাঁতের খেলোয়াড় বিষয়শ্রেণী:পারি সাঁ-জেরমাঁর ফুটবলার বিষয়শ্রেণী:বেলজীয় প্রথম বিভাগ এ-এর ম্যানেজার
ক্লদ্‌ মাকেলেলে
কদমা বাংলার একটি শুকনো মিষ্টি বিশেষ। বাংলায় অনেক পুরনো মিষ্টির মধ্যে কদমা, বাতাসা, নকুলদানাঅন্যতম। বাংলায় অতিথি আপ্যায়নে কদমা অনেক পুরনো রীতি। যদিও এখন আর এই মিষ্টির আগের কৌলীন্যতা নেই। তবে পূজার কাজে এখনও বহুল ব্যবহার আছে। বিশেষত কালী পূজায় কদমার ব্যবহার বেশি। সিলেট অঞ্চলে একে তিলুয়া বলা হয়। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সহায়তায় এই মিষ্টির কৌলীন্যটা ফেরানোর চেষ্টা হচ্ছে। পরিচয় দেখতে অনেকটা কদমফুল আকারের এবং ভিতরটা ফাঁপা। উপর ও নিচ খানিক কমলালেবুর মতো চাপা। ধবধবে সাদার প্রধানত তৈরি করা হয়। প্রয়োজন ভেদে এর আকারও বিভিন্ন। একদম ছোট ১সেমি ব্যাসের থেকে শুরু করে ১০-১৫সেমি পর্যন্ত বানানো হয়। প্রস্তুত প্রণালী মূলত চিনি দিয়ে তৈরি হয়। প্রথমে জলে চিনি দিয়ে ফোটাতে হবে। এরপর ঠাণ্ডা করে চিনি জমাট বাঁধলে ছড়ানো পাত্রে অল্আপ আইসিং সুগার ছিটিয়ে শিরা ঢেলে অল্প গরম থাকা অবস্থায় রোল করে খুঁটিতে ঝুলিয়ে টানতে হবে। এরপর আবার ভাঁজ করে পুনরায় টানতে হবে। এভাবে অনেকবার করলে যখন ভেতরটা ফাঁপানো হয়ে যায় তখন চপিংবোর্ডে আইসিং সুগার ছিটিয়ে রোল করে কদমা বানানোর ছাঁচ বা মেকারে চাপ দিয়ে কেটে কদমার আকারে কেটে নিতে হয়। এরপর বাতাসে রেখে শুকিয়ে নিতে হয়। ব্যবহার থাম্ব|নবদ্বীপে কালীপূজায় আগমেশ্বরী মাতার হাতে কদমা সাধারণত পৌষ সংক্রান্তিতে কদমা বেশি খাওয়া হয়। কালী পূজা, মেলা, রথ প্রভৃতিতে কদমা আবিচ্ছেদ্য অনুষঙ্গ। কালী ঠাকুরের হাতে কদমা দেওয়ার অতি পুরনো একটি রীতি। ঠাকুরের হাতে বিশালাকার কদমা দেওয়ার প্রতিযোগীয়তাও হয়। লক্ষ্মীপুজতেও এর ব্যবহার আছে। সমস্যা বাঙালির অতিথি আপ্যায়নের এই রীতি বেশ পুরনো। গোটা বাংলায় প্রায় ২৫০০ কদমা বাতাসা ও নকুলদানা তৈরির ছোট ‘কারখানা’ রয়েছে। বর্ধমানের নীলপুর, মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর, গড়িয়া-বেলেঘাটা, উত্তরবঙ্গের বালুরঘাটে প্রচুর কারিগর বাতাসা-নকুলদানা তৈরির সঙ্গে যুক্ত। দেশ জুড়েই ভাল চাহিদা থাকা সত্বেও বাতাসা-নকুলদানা-কদমাকে তেমন ভাবে বাজারজাত করা যাচ্ছে না। তবে এই প্রাচীন কুটির শিল্পের হাল ফেরাতে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার আসরে নেমেছে। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার ক্লাস্টার তৈরি-করে রপ্তানি করার বিভিন্ন পদক্ষেপ করার পরিকল্পনা নিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের মনাকরের কদমার বাজার চাহিদা বেশি। এখানকার কদমা-শিল্পের নিজস্ব ইতিহাসও রয়েছে। মানকরের কারিগরেরা কদমা বিভিন্ন রাজ্যে রপ্তানি করেন। কিন্তু কারিগরের সংখ্যা ক্রমশ কমে যাওয়ায় কদমা-শিল্প বর্তমানে মার খাচ্ছে বলে। আবার অনেক ক্ষেত্রে ভিন রাজ্যের বাজারে পাঠানোর ব্যবস্থা নেই। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প দপ্তরের কর্তারাও এই বিষয়ে তাদের শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। পরিকল্পনা পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যসরকারের খাদি গ্রামদ্যোগের উদ্যোগে ক্লাস্টার তৈরি করে কারিগরদের এক ছাদের তলায় এনে প্রথমে ছোটছোট ‘হাব’ তৈরি করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সেখানেই আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে কারিগরদের। উদ্যগতাদের অভিমত, ওড়িশা, উত্তরপ্রদেশে বাতাসা্‌ কদমা এবং দেশের দক্ষিণের রাজ্যগুলিতে নকুলদানার চাহিদা রয়েছে। হাবে তৈরি হওয়া কদমা নকুললদানা বাতাসা আধুনিক প্রযুক্তিতে প্যাকেটজাত করে রপ্তানি করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ফলত কারিগর ও ব্যবসায়ী, উভয় পক্ষই লাভবান হবেন বলে মনে করছেন খাদি গ্রামোদ্যোগের কর্তারা। আরও দেখুন নকুলদানা তিলের গজা বাতাসা তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ বিষয়শ্রেণী:বাংলার মিষ্টি
কদমা
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭২ সালে স্থাপিত হয়। এটি বাংলাদেশের সকল সরকারি এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা। মূলত সরকার এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে এই সংস্থাটি সমন্বয়সাধন করে থাকে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের প্রাথমিক উদ্দেশ্য হল বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার সমন্বয়, নিয়ন্ত্রণ, পরিচালনা এবং বিকাশ ঘটানো। সরকারি এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষার মানরক্ষা এবং নিয়ন্ত্রণও এই প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন সরকারকে উচ্চশিক্ষার সামগ্রিক বিষয়ে পরামর্শ দিয়ে থাকে। রাষ্ট্রপতির ১৯৭৩ সালের ১০ নং আদেশের মাধ্যমে এটি সৃষ্টি হয়, যা ১৯৭২ সালের ১৬ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর রয়েছে। গঠনতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন এর গঠনতন্ত্র নিম্নরূপ: চেয়ারম্যান - ১ জন, পূর্ণকালীন সদস্য - ৫ জন, খন্ডকালীন সদস্য - ৯ জন, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন অনুমোদিত সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় (বুটেক্স) বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বগুড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বগুড়া পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিমেল সায়েন্সস বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ ইউনিভাসিটি অব প্রফেশানালস জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয় রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয় খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন অনুমোদিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি চট্টগ্রাম ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এগরিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজি ইন্ডিপেন্ডেন্ট বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ সেন্ট্রাল উইমেন্স ইউনিভার্সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটি, চট্টগ্রাম আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় অ্যামেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি-বাংলাদেশ বিজিসি ট্রাস্ট বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ, চট্টগ্রাম এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয় কুইন্স বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক গণ বিশ্ববিদ্যালয় দ্য পিপলস ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি খাজা ইউনুস আলী বিশ্ববিদ্যালয় মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি লিডিং ইউনিভার্সিটি ইউনিভার্সিটি অফ ডেভলপমেন্ট অলটারনেটিভ প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি সাউথ ইস্ট ইউনিভার্সিটি স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ সিটি ইউনিভার্সিটি আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি-বাংলাদেশ শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিশ্ববিদ্যালয় প্রাইম বিশ্ববিদ্যালয় নর্দার্ন ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ সাউর্দান বিশ্ববিদ্যালয় পুন্ড্রা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশ সোনারগাঁও বিশ্ববিদ্যালয় শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি দ্য মিলেনিয়াম ইউনিভার্সিটি ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজি মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি, সিলেট ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ উত্তরা ইউনিভার্সিটি ইউনির্ভাসিটি অব সাউথ এশিয়া ইউনির্ভাসিটি অব ইনফরমেশন টেকনোলজি এন্ড সাইন্সেস প্রাইমএশিয়া ইউনিভার্সিটি রয়াল ইউনিভার্সিটি অব ঢাকা ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ অতীশ দীপঙ্কর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ফাস্ট ক্যাপিটাল ইউনির্ভারসিটি অব বাংলাদেশ, চুয়াডাঙ্গা ফেনী বিশ্ববিদ্যালয় বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি নর্থওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটি নর্দার্ন ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলোজি দি ইউনিভার্সিটি অব কুমিল্লা, মিরপুর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন অনুমোদিত আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয় ইসলামিক প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (IUT) এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন বিষয়শ্রেণী:১৯৭২-এ প্রতিষ্ঠিত বিষয়শ্রেণী:১৯৭৩-এ বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত বিষয়শ্রেণী:উচ্চ শিক্ষা কর্তৃপক্ষ বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশে উচ্চ শিক্ষা বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশের সরকারি কমিশন বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রক
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (বাংলাদেশ)
জাম (), বৈজ্ঞানিক নাম Syzygium cumini, Myrtaceae পরিবারভুক্ত একটি ফল। জাম নানা দেশে নানা নামে পরিচিত, যেমন- জাম্বুল, জাম্ভুল, জাম্বু, জাম্বুলা, জাভা প্লাম, জামুন, কালোজাম, জামব্লাং, জাম্বোলান, কালো প্লাম, ড্যামসন প্লাম, ডুহাট প্লাম, জাম্বোলান প্লাম, পর্তুগিজ প্লাম ইত্যাদি। তেলেগু ভাষায় একে বলা হয় নেরেদু পান্ডু, মালায়ালাম ভাষায় নাভাল পাজহাম, তামিল ভাষায় নাভা পাজহাম এবং কানাড়া ভাষায় নেরালে হান্নু। ফিলিপাইনে একে বলা হয় ডুহাট। বিবরণ এটি দেখতে ১ থেকে ২.৫ সেন্টিমিটার লম্বা, প্রায় আয়তাকার। গাছ ১৪ থেকে ৬০ ফুট বা এর বেশিও লম্বা হতে পারে। পাতা সরল, বড়, চামড়া পুরু এবং চকচকে। গাছ চির সবুজ। চকচকে পাতা এবং চিরসবুজ হবার কারণে এর আলংকরিক মান বেশ ভালো। জাম গাছে মার্চ এপ্রিলে ফুল আসে। জামের ফুল ছোট এবং ঘ্রানওয়ালা। মে জুন মাসে ফল বড় হয়। ফলটি লম্বাটে ডিম্বাকার। শুরুতে এটি সবুজ থাকে যা পরে গোলাপী হয় এবং পাকলে কালো বা কালচে বেগুনি হয়ে যায়। এটি খেলে জিহ্বা বেগুনি হয়ে যায়। বিস্তার জাম ভারতবর্ষ থেকে সারা দুনিয়াতে ছড়িয়েছে এবং বর্তমানে এটি সাবেক ব্রিটিশ উপনিবেশগুলোতে বেশ দেখা যায়। বাংলাদেশে প্রধানত দুই জাতের জাম পাওয়া জায়। জাতগুলি হলো ক্ষুদি- খুব ছোট জাত এবং মহিষে- বেশ বড় ও মিষ্টি। এটি বর্ষাকালে পাওয়া যায়। ফলের গা কালো এবং খুব মসৃণ পাতলা আবরণ দিয়ে ঢাকা। ফলের বহিরাবরণের ঠিক নিচ থেকেই গাঢ় গোলাপী রংয়ের টক মিষ্টি শাস। পুষ্টিমান ও রাসায়নিক উপাদান জাম পাতার উপাদান নিচের ছকে দেয়া হলো। ব্যবহার জামের প্রধান ব্যবহার খাদ্য হিসেবে। টক মিষ্টি সুস্বাদু এই ফলটি বেশ জনপ্রিয়। কবিরাজী বা হেকিমী চিকিৎসায় এর কিছু ব্যবহার আছে; বিভিন্ন রোগ নিয়ন্ত্রণের জন্য বাংলাদেশ, ভারতবর্ষ, ইন্দোনেশিয়া এবং চীন-এ জামের ব্যবহার হয়ে আসছে। জামের বীজ দিয়ে নানান রোগের আয়ুর্বেদী চিকিৎসা করা হয়, যেমন বহুমুত্র। ) ইউনানী এবং চৈনিক চিকিৎসাতেও এর ব্যবহার আছে। হজমের সমস্যা, উচ্চ রক্তচাপ, মাড়ির প্রদাহ ইত্যাদি রোগে জামের বীজ, ছাল ও পাতা ব্যবহৃত হয়। জাম থেকে মদ ও সিরকা তৈরি করা যায়। জামে বেশি পরিমাণে ভিটামিন এ এবং সি আছে। চিত্রশালা তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশের ফল বিষয়শ্রেণী:বাংলার ফল বিষয়শ্রেণী:বাংলার উদ্ভিদ বিষয়শ্রেণী:ঔষধি উদ্ভিদ বিষয়শ্রেণী:জ্যামাইকার উদ্ভিদ বিষয়শ্রেণী:কুইন্সল্যান্ডের উদ্ভিদ
জাম
ঘটনাবলী ০৬৮০ - মহনবী সা: এর প্রিয় দৌহিত্র ইমাম হোসেন আ: এর শাহাদাতের পর তার সন্তান সন্ততিসহ অন্যদের বন্দী অবস্থায় কুফায় প্রেরণ করা হয়। ১৪৯৮ - ভাস্কো দা গামা মোজাম্বিক দ্বীপপুঞ্জ পরিভ্রমণ করেন। ১৫২৫ - হাঙ্গেরীর রাজধানী বুদাপেস্ট ওসমানীয় সেনারা দখল করে নেয় । ১৮০১ - স্পেন ও পর্তুগালের মধ্যে ‘কমলন যুদ্ধ’ শুরু। ১৮৯৬ - ফরাসী পদার্থ বিজ্ঞানী এন্টনী হেনরী বেকুইরেল প্রাকৃতিক তেজস্ক্রিয়তার বিষয়টি আবিষ্কার করেন। ১৯১৭ - পুয়ের্তো রিকো মার্কিন অধিকৃত অঞ্চলে পরিণত হয়। ১৯১৯ - মস্কোয় তৃতীয় কমিউনিস্ট আন্তর্জাতিকের প্রথম কংগ্রেস শুরু। ১৯৪২ - দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপান ম্যানিলা দখল করে। ১৯৪৪ - নেপলসে ট্রেন দুর্ঘটায় ৫২১ জনের মৃত্যু। ১৯৪৮ - সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠিত। ১৯৫২ - ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু বিহারের (বর্তমানে ঝাড়খণ্ডের সিন্ধ্রিতে সার কারখানার উদ্বোধন করেন। ১৯৫৬ - মরক্কো ফ্রান্সের কাছ থেকে স্বাধীনতা ফিরে পায়। ১৯৭১ - ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনে ছাত্র সমাবেশে প্রথমবারের মতো স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন। ১৯৭২ - বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয় গাম্বিয়া। ১৯৭৩ - বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের প্রথম সাধারণ নির্বাচনে জয়ী হয়। ১৯৮৫ - আরব লীগ প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৯১ - শ্রীলংকায় বোমা বিস্ফোরণে উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী বিজয়সহ ২৯ জন নিহত। ১৯৯৫ - কোপেন হেগেনে সামাজিক উন্নয়ন সম্পর্কিত বিশ্ব সম্মেলন শুরু হয়। ১৯৯৭ - পাকিস্তানে ২০ বছরেরও অধিক সময় পর রোববার সাপ্তাহিক ছুটি পালন শুরু। ১৯৯৯ - ঢাকায় ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলন সমাপ্তি। ২০০০ - ব্রিটেনে আটক চিলির সাবেক স্বৈরশাসক আগাস্তো পিনোশের মুক্তি লাভ। ২০০১ - আফগানিস্তানে প্রাচীন ও শান্তির দূত হিসেবে প্রতিষ্ঠিত বুদ্ধ মূর্তিগুলো ভেঙ্গে ফেলা হয়। জন্ম ১৭৬০ - ক্যামিল ডেস্মউলিন্স, ফরাসি সাংবাদিক ও রাজনীতিবিদ। ১৭৯৩ - স্যাম হাউস্টন, মার্কিন সৈনিক, রাজনীতিক, টেক্সাস প্রজাতন্ত্রের ১ম রাষ্ট্রপতি। ১৮২০ - মুলতাতুলি, ডাচ লেখক। ১৮৮১ - অতুলচন্দ্র ঘোষ, ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামী, লোকসেবক সঙ্ঘের প্রতিষ্ঠাতা ও পুরুলিয়া জেলার বঙ্গভূক্তি আন্দোলনের মূখ্যস্থপতি। (মৃ. ১৯৬২) ১৮৯৪ - প্রখ্যাত বাঙালি ঔপন্যাসিক শৈলবালা ঘোষজায়া।(মৃ.১৯৭৪) ১৮৯৫ - বাঙালি অভিনেত্রী নিভাননী দেবী।(মৃ.১৯৭৮) ১৮৯৮ - মোহাম্মদ বরকত উল্লাহ, সাহিত্যিক। ১৯১৯ - জেনিফার জোনস, মার্কিন অভিনেত্রী। ১৯২৩ - রিচার্ড উইলিয়াম টিম, রামোন ম্যাগসেসে পুরস্কার বিজয়ী জীববিজ্ঞানী ও শিক্ষাবিদ। (মৃ. ২০২০) ১৯৩১ - মিখাইল গর্বাচেভ, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী সোভিয়েত আইনজীবী ও রাজনীতিবিদ ও সাবেক প্রেসিডেন্ট। ১৯৩৩ - আনন্দজি ভিরজি শাহ, ভারতীয় সঙ্গীত পরিচালক ও কল্যাণজি-আনন্দজির জুটি। ১৯৩৭ - আব্দেল-আজিজ বউটেফ্লিকা, আলজেরীয় সৈনিক, রাজনীতিক ও ৫ম প্রেসিডেন্ট। ১৯৪২ - মীর হোসেইন মুসাভি, ইরানীয় স্থপতি, রাজনীতিবিদ ও ৭৯ তম প্রধানমন্ত্রী। ১৯৫৫ - শোকো আসাহরা, জাপানের নতুন ধর্মীয় সংগঠন ওম শিনরিকিও'র প্রতিষ্ঠাতা। ১৯৬২ - জন ফ্রান্সিস বনজিওভি জুনিয়র, মার্কিন গায়ক, গীতিকার, গিটারবাদক ও প্রযোজক। ১৯৬৮ - ড্যানিয়েল ক্রেইগ, ইংরেজ অভিনেতা। ১৯৭৭ - অ্যান্ড্রু জন স্ট্রস, দক্ষিণ আফ্রিকান বংশোদ্ভূত ইংরেজ ক্রিকেট খেলোয়াড়। ১৯৭৯ - ডেমিয়েন ডাফ, আইরিশ ফুটবল খেলোয়াড়। ১৯৮২ - কেভিন কুরানয়ি, জার্মান ফুটবল খেলোয়াড়। মৃত্যু ৬৫৪ - আবুজর গিফারী, মহানবী এর বিশিষ্ট সাহাবী। ১৭৯১ - জন ওয়েসলি, পদ্ধতিবাদের জনক। ১৭৯৭ - হোরেস ওয়ালপলে, তিনি ছিলেন ইংরেজ ইতিহাসবিদ ও রাজনীতিবিদ। ১৮৪৫ - রামচন্দ্র বিদ্যাবাগীশ, অভিধানকার ও পণ্ডিত।(জ.১৭৮৬) ১৯৩০ - ডি এইচ লরেন্স, ইংরেজ কথাসাহিত্যিক ও কবি।(জ.১৮৮৫) ১৯৩৯ - হাওয়ার্ড কার্টার, ইংরেজ মিশরতত্ত্ববিদ ও চিত্রশিল্পী। ১৯৪২ - টিলার ব্রুক, তিনি ছিলেন আমেরিকান অভিনেতা ও গায়ক। ১৯৪৯ - সরোজিনী নাইডু, ভারতীয় বাঙালি স্বাধীনতা সংগ্রামী।(জ.১৩/০২/১৮৭৯) ১৯৮২ - ফিলিপ কে. ডিক, তিনি ছিলেন আমেরিকান লেখক। ১৯৮৩ - বাঙালি সাহিত্যিক গিরিবালা দেবী প্রয়াত হন।(জ.১৮৯১) ১৯৯১ - সার্জ গাইন্সবউরগ, তিনি ছিলেন ফরাসি গায়ক, গীতিকার, অভিনেতা ও পরিচালক। ছুটি ও অন্যান্য জাতীয় পতাকা উত্তোলন দিবস, বাংলাদেশ। ভোটার দিবস, বাংলাদেশ। তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ বিষয়শ্রেণী:গ্রেগরীয় পঞ্জিকার দিন বিষয়শ্রেণী:মার্চ
২ মার্চ
ঘটনাবলী ৪৫ - এই দিন থেকে জুলিয়ান ক্যালেন্ডারের সূচনা। ৬২৪- বদর যুদ্ধ সংঘটিত হয়। ১৭৫৮ - হেলির ধূমকেতু গ্রহকক্ষস্থ সূর্যের নিকটতম বিন্দুতে অবস্থান নেয়। ১৭৮১ - স্যার উইলিয়াম হার্শেল ইউরেনাস গ্রহ অবিষ্কার করেন। ১৭৯৯ - মেদিনীপুরে চুয়াড় বিদ্রোহ শুরু গোবর্ধন দিকপতির নেতৃত্বে। ১৮৭৮ - বিভিন্ন ভাষার সংবাদপত্রের জন্য ব্রিটিশ রাজ কর্তৃক সংবাদপত্র আইন প্রণীত হয়। ১৮৮১ - রাশিয়ার জার দ্বিতীয় আলেকজান্ডার আততায়ীর হাতে নিহত হন। ১৮৯৬ - নেদারল্যান্ডসে প্রথম চলচ্চিত প্রদর্শিত হয়। ১৯০৬ - মার্কিন নারী ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার অন্যতম পুরোধা নেত্রী সুসান ব্রাউলেন অ্যান্টনির মৃত্যু। ১৯২২ - কলকাতার আনন্দবাজার পত্রিকা প্রথম প্রকাশিত হয়। ১৯৩০ - সৌরমন্ডলের নবম গ্রহ প্লুটো আবিষ্কৃত হয়। ১৯৫৪ - ইন্দোচীনে দিয়েন বিয়েন ফু’র যুদ্ধ শুরু হয়। ১৯৭১ - শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের নেতৃত্বে স্বাধীনতা প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষুব্ধ শিল্পী সমাজের প্রথম মিছিল। ১৯৭২ - বাংলাদেশকে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয় সুইজারল্যান্ড। ১৮৮১ - রাশিয়ার জার দ্বিতীয় আলেকজান্ডার আততায়ীর হাতে নিহত হন। ১৯৮৭ - ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর প্রতিষ্ঠা। জন্ম ১৭৩৩ - জোসেফ প্রিস্টলি, ইংরেজ রসায়নবিদ। ১৮৪৪ - মনমোহন ঘোষ,কলকাতা হাইকোর্টের প্রথম বাঙালি ব্যরিস্টার।(মৃ.১৮৯৬) ১৮৬১ - জলধর সেন, সাহিত্যিক ও সম্পাদক। (মৃ.১৫/০৩/১৯৩৯) ১৮৯২ - গোবর গোহ (যতীন্দ্রচরণ গুহ), ভারতীয় কুস্তিগীর ও পালোয়ান। (মৃ. ১৯৭২) ১৮৯৪ -  খ্যাতনামা বাঙালি পদার্থবিদ সত্যেন্দ্রনাথ বসুর (সত্যেন বোস) জন্ম। ১৯০০ - গেওর্গে সেফেরিস, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী গ্রিক কবি। ১৯১৪ - বাঙালি কবি, সাংবাদিক ও রাজনীতিবিদ সরোজ দত্ত।(মৃ.১৯৭১) ১৯১৫ - ভারতীয় বাঙালি ঔপন্যাসিক, ছোটোগল্পকার ও প্রাবন্ধিক প্রতিভা বসু|(মৃ.২০০৬) ১৯১৬ - প্রবাসজীবন চৌধুরী, ভারতীয় সৌন্দর্যতত্ত্ব বিশারদ। (মৃ. ১৯৬১) ১৯৩০ -  বাংলাদেশের প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ ও জনপ্রিয় বিজ্ঞান লেখক আবদুল্লাহ আল মুতী শরফুদ্দিনের জন্ম। ১৯৩৬ - আবু হেনা মোস্তফা কামাল, বাংলাদেশি শিক্ষাবিদ, কবি ও লেখক। ১৯৬৬ - ইসরাফিল আলম, বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ ও সাবেক সংসদ সদস্য। (মৃ. ২০২০) মৃত্যু ১৭৩৯ - সুবাদার সুজাউদ্দিন খান। ১৭৪৮ - সুইজারল্যান্ডের খ্যাতনামা গণিতবিদ ইয়োহান বার্নুয়ি। ১৮৮১ - রাশিয়ার জার দ্বিতীয় আলেকজান্ডার। ১৮৯৪ - জার্মান পদার্থবিজ্ঞানী হার্টজ। ১৯০১ - বেঞ্জামিন হ্যারিসন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ২৩তম রাষ্ট্রপতি। ১৯০৬ - মার্কিন নারী ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার অন্যতম পুরোধা নেত্রী সুসান ব্রাউলেন অ্যান্টনি। ১৯৩৬ - স্যার কেদারনাথ দাস কলকাতার খ্যাতনামা স্ত্রীরোগবিশেষজ্ঞ ও চিকিৎসাশাস্ত্রের শিক্ষক । (জ.২৪/০২/১৮৬৭) ১৯৬৭ - ফ্রাঙ্ক ওরেল, ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটার ও জামাইকান সিনেটর। ১৯৬৮ - ইবরাহিম ইসমাইল চুন্দ্রিগড়, পাকিস্তানের ৬ষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী। ১৯৭৬ - জসীম উদ্‌দীন, একজন বাঙালি কবি, গীতিকার, ঔপন্যাসিক ও লেখক।(জ.১৯০৩) ১৯৮৫ - বাঙালি কবি দীনেশ দাশ(জ.১৯১৩) ১৯৯৬ - ক্রিস্তফ কিয়েশ্‌লফ্‌স্কি, পোল্যান্ডের খ্যাতিমান চলচ্চিত্র নির্মাতা। ২০০৪ - বিলায়েত খাঁ ভারতের বিখ্যাত বাঙালি সেতার বাদক।(জ.০৮/০৮/১৯২৮) ছুটি ও অন্যান্য বিষয়শ্রেণী:গ্রেগরীয় পঞ্জিকার দিন বিষয়শ্রেণী:মার্চ
১৩ মার্চ
ঘটনাবলী ১১৮০ - আব্বাসীয় খেলাফতের পতন যুগে আবুল আব্বাস আহমদ নাসেরের বাগদাদের খেলাফত লাভ। ১২৮২ - সিসিলি থেকে ফরাসিদের বহিষ্কার। ১৮১২ - কলকাতায় এথেনিয়াম থিয়েটার নামে রঙ্গমঞ্চ খোলা হয়। ১৮৬৭ - রাশিয়ার কাছ থেকে আমেরিকার আলাস্কা খরিদ। ১৯৩০ - চীনে বামপন্থী চীনা সাহিত্যিক সংঘ প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৭১ - শিক্ষাবিদ জ্যোতির্ময় গুহ ঠাকুরতা শহীদ হন। ১৯৭৬ - ইসরাইল/প্যালেস্টাইন এলাকায় প্রথম ভূমি দিবস পালিত। ১৯৭৯ - ব্রিটিশ সাংসদ এ্যরি নীভ গাড়ি বোমা হামলায় নিহত। ১৯৮১ - যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট রনাল্ড রেগান গুলিবিদ্ধ হন। ১৯৯২ - সত্যজিৎ রায় অস্কার পুরস্কার ‘মাস্টার অব ফিল্ম মেকার’ লাভ করেন। ১৯৯৬ - বিএনপি সরকারের প্রথম সাংবিধানিক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের মধ্য দিয়ে পদত্যাগ। ২০০৬ - যুক্তরাজ্যে টেরোরিজন এ্যাক্ট - ২০০৬ আইন হিসাবে গৃহীত হয়। ২০০৯ - ১২ জন সশস্ত্র লোক পাকিস্তানের লাহোরে অবস্থিত মানাওয়ান পুলিশ একাডেমী আক্রমণ করে। জন্ম ১৭৪৬ - ফ্রান্সিস্কো গোয়া, স্প্যানিশ চিত্রকর (মৃত্যু: ১৮২৮)। ১৮৪৪ - পল ভের্লেন, ফরাসী কবি (মৃত্যু: ১৮৯৬)। ১৮৫৩ - ভিনসেন্ট ভ্যান গখ ওলন্দাজ চিত্রশিল্পী। ১৮৭০ - বসুমতীর সম্পাদক ও লেখক সুরেশচন্দ্র সমাজপতি।(মৃ.০১/০১/১৯২১) ১৮৭৪ - নিকোলাই রদেস্কু, রোমানিয়ান সেনা কর্মকর্তা ও রাজনীতিবিদ (মৃত্যু: ১৯৫৩)। ১৮৯১ - যুক্তরাষ্ট্রের প্রকৌশলী ও যন্ত্র নির্মাতা আর্থার উইলিয়াম সিডনি হ্যাংরিটন জন্মগ্রহণ করেন। ১৮৯৯ - শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়, বাঙালি লেখক ও চিত্রনাট্যকার। ১৯১৯ - কবি সিকান্দার আবু জাফরের জন্ম। ১৯৭৯ - নোরা জোন্স, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত জ্যাজ্‌ (jazz) সঙ্গীত শিল্পী, পিয়ানো বাদক এবং অভিনেত্রী। ১৯৮৬ - সার্জিও র‌্যামোস, স্প্যানিশ ফুটবল খেলোয়াড়। মৃত্যু ১৬৬৩ - মীর জুমলা, মোগল সেনাপতি। ১৯৪৮ - ইরানের অন্যতম শ্রেষ্ঠ জ্ঞানতাপস এবং সংগ্রামী আলেম আয়াতুল্লাহিল উজমা সাইয়্যেদ হোসেইন তাবাতায়ী বুরোজার্দি ইন্তেকাল করেন। ১৯৫৬ - দক্ষিণারঞ্জন মিত্রমজুমদার বাংলা ভাষার রূপকথার প্রখ্যাত রচয়িতা ও সংগ্রাহক। (জ.১৫/০৪/১৮৭৭) ১৯৬৫ - সতীনাথ ভাদুড়ী প্রথিতযশা বাঙালি সাহিত্যিক। (জ.২৭/০৯/১৯০৬) ১৯৭১ - এ. কে. এম. সামসুল হক খান জেলা প্রশাসক -কুমিল্লা জেলা ২০০২ - আনন্দ বক্সী প্রখ্যাত ভারতীয় কবি,গীতিকার ও সুরকার।(জ.২১/০৭/১৯৩০) ২০০৫ - ফ্রেড কোরমাতসু, জাপানী বংশদ্ভূত মার্কিন এক্টিভিস্ট (জন্ম: ১৯১৯)। ২০১৩ - ড্যানিয়েল হফম্যান, মার্কিন কবি ও শিক্ষাবিদ (জন্ম: ১৯২৩)। ছুটি ও অন্যান্য ভূমি দিবস - প্যালেস্টাইন / ইসরাঈল বিশ্ব চিকিৎসক দিবস বহিঃসংযোগ বিবিসি: এই দিনে নিউইয়র্ক টাইমস'': এই দিনে বিষয়শ্রেণী:গ্রেগরীয় পঞ্জিকার দিন বিষয়শ্রেণী:মার্চ বিষয়শ্রেণী:অসম্পূর্ণ দিনতারিখ
৩০ মার্চ
পুনর্নির্দেশ অর্থনীতিতে নোবেল স্মারক পুরস্কার বিজয়ীদের তালিকা
নোবেল পুরস্কার বিজয়ী অর্থনীতিবিদদের তালিকা
ঘটনাবলী ৪-১০ অক্টোবর : বিশ্ব মহাকাশ সপ্তাহ ১৩৩৭ - (৭৫৮ হিজরী) খলিফা মনসুর বাগদাদের ভিত্তি স্থাপন করেন। ১৫৩৫ - ইংরেজি ভাষার প্রথম বাইবেল ছাপা সম্পন্ন হয়। ১৮১৩ - লর্ড ময়রার বাংলার গভর্নর জেনারেল নিযুক্ত হন। ১৮৩০ - বেলজিয়াম তাদের স্বাধীনতা ঘোষণা করে। ১৮৫৫ - ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের উদ্যোগে ও নেতৃত্বে বিধবা বিবাহ আইন প্রবর্তিত হয়। ১৮৮৭ - কলকাতায় এমারেল্ড থিয়েটার প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯১১ - সাধারণের ব্যবহারের জন্য প্রথম লন্ডনের পাতাল রেলস্টেশন চালু হয়। ১৯৫৭ - সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা মহাশূন্যে প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ স্পুটনিক-১ সাফল্যের সাথে প্রেরণ করে মহাশূন্যের ওপর মানুষের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার কালপর্বের সূচনা করে। ১৯৫৮ - আটলান্টিক পারাপারে নিয়মিত বিমান চলাচল শুরু করে। ১৯৫৯ - সোভিয়েত নভোযান লুনিক-৩ সর্বপ্রথম চাঁদের সবচেয়ে কাছাকাছি গিয়ে ছবি তোলে। ১৯৬৩ - জাম্বিয়া পূর্ণ স্বায়ত্তশাসন লাভ করে। ১৯৬৩ - ক্যারিবিয়ান সমুদ্রে প্রচণ্ড ঝড় উঠেছিল। ঐ ঝড়ে ক্যারিবিয়ান সমুদ্রের সকল দ্বীপ এবং বন্দরের সরঞ্জামাদি আটলান্টিক মহাসাগরে নিমজ্জিত হয়। ভয়াবহ এই তুফানের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৫০ কিলোমিটার। প্রায় ৬ হাজার লোক এই তুফানে মারা গিয়েছিল। মৃত্যুবরণকারীদের অধিকাংশই ছিল হাইতি এবং কিউবার অধিবাসী । ১৯৬৬ - লেসোথা ব্রিটিশ উপনিবেশ থেকে স্বাধীনতা লাভ করে। ১৯৭৯ - যুগোশ্লাভাকিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য চুক্তি সম্পাদিত হয়। ১৯৯২ - ব্রাজিলে কারাগারে রক্তক্ষয়ী দাঙ্গা বাধে। এতে ১১১ জন বন্দী নিহত হয়। ২০০২ - নেপালেন রাজা জ্ঞানেন্দ্রের ভারপ্রাপ্তপ প্রধানমন্ত্রী শের বাহাদুর দেউবাকে বরখাস্ত করে নির্বাহী ক্ষমতা গ্রহণ করেন। জন্ম ১২৮১ - ১০ম লুই, তিনি ছিলেন ফ্রান্সের রাজা। ১৭২০ - জোভান্নি পিরানেসি, তিনি ছিলেন ইতালীয় খোদাইকার ও ভাস্কর। ১৭৯৩ - চার্লস পিয়ারসন, তিনি ছিলেন ইংরেজি আইনজীবী এবং রাজনীতিবিদ। ১৮৩২ - উইলিয়াম গ্রিগস, তিনি ছিলেন একজন আবিষ্কারক। ১৮৬১ - ফ্রেডরিক রেমিংটন, তিনি ছিলেন একজন চিত্রশিল্পী। ১৮৭৭ - রেজর স্মিথ, ইংরেজ প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটার। (মৃ. ১৯৪৬) ১৮৮৩ - অধ্যাপক পঞ্চানন নিয়োগী প্রখ্যাত বাঙালি বিজ্ঞানী।(মৃ.০৫/০৬/১৯৫০) ১৮৯৫ - বাস্টার কিটন, মার্কিন চলচ্চিত্র পরিচালক ও অভিনেতা। (মৃ. ১৯৬৬) ১৮৯৭ - আলবার্ট বিটজিয়াম, তিনি ছিলেন সুইজারল্যান্ডের বিখ্যাত কথাসাহিত্যিক। ১৯০৩ - জন ভিনসেন্ট আটানসফ, বুলগেরীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন পদার্থবিদ। (মৃ. ১৯৯৫) ১৯০৬ - নির্মলচন্দ্র লাহিড়ী, খ্যাতনামা জ্যোতির্বিদ, গণিতাচার্য ও পঞ্জিকা-সংস্কারক। (মৃ.০৩/০১/১৯৮০) ১৯১১ - রেজ পার্কস, ইংরেজ ক্রিকেটার। (মৃ. ১৯৭৭) ১৯১৬ - ভিতালি গিঞ্জবার্গ, তিনি ছিলেন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী রাশিয়ান পদার্থবিদ। ১৯১৮ - কেনিচি ফুকুই, তিনি ছিলেন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী জাপানি রসায়নবিদ। ১৯১৯ - মণীন্দ্র রায়,একজন বিশিষ্ট বাঙালি কবি।(মৃ.২৮/০৮/২০০০) ১৯২০ - জর্জ ট্রাইব, অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার। (মৃ. ২০০৯) ১৯২৩ - চার্লটন হেস্টন, মার্কিন অভিনেতা ও রাজনৈতিক কর্মী। (মৃ. ২০০৮) ১৯২৫ - রোকেয়া রহমান কবির, বাংলাদেশী নারী উন্নয়ন কর্মী ও শিক্ষাবিদ। (মৃ. ২০০০) ১৯৩১ - সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়, ভারতীয় বাঙালি সঙ্গীতশিল্পী ও চলচ্চিত্রে নেপথ্য গায়িকা। ব্যাসিল ডি’অলিভেইরা, দক্ষিণ আফ্রিকান বংশোদ্ভূত ইংরেজ ক্রিকেটার। (মৃ. ২০১১) ১৯৩৬ - ডেভিড পিদি, দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটার। (মৃ. ২০১৮) ১৯৩৮ - কার্ট ওয়ুটরিচ, তিনি ছিলেন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী সুইস রসায়নবিদ ও জৈবপদার্থবিদ। ১৯৪৬ - সুজান সার‍্যান্ডন, মার্কিন অভিনেত্রী ও সমাজকর্মী। ১৯৫৬ - ক্রিস্টফ ভালৎজ, অস্ট্রীয় অভিনেতা। ১৯৫৭ - রফিকুল আলম, বাংলাদেশি ক্রিকেটার। ১৯৬৫ - ইউজিন কাসপারস্কি, রুশ গাণিতিক প্রকৌশলী ও তথ্য বিশেষজ্ঞ। ১৯৬৭ জাহিদ হাসান, বাংলাদেশি অভিনেতা ৷ লিয়েভ শ্রাইবার, একজন আমেরিকান অভিনেতা, প্রযোজক, পরিচালক এবং চিত্রনাট্যকার। ১৯৭৯ - স্টিফান বুথ, তিনি ইংরেজ অভিনেতা ও গায়ক। ১৯৮৮ - ক্রিস জর্দান, ইংরেজ ক্রিকেটার। ১৯৮৯ - ডাকোটা জনসন, তিনি আমেরিকান মডেল ও অভিনেত্রী। ১৯৯৩ আকিলা ধনঞ্জয়, শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটার। ওয়েলিংটন মাসাকাদজা, জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটার। ১৯৯৪ - এইডেন মার্করাম, দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটার। ১৯৯৭ - ঋষভ পন্ত, ভারতীয় ক্রিকেটার। ১৯৯৮ - শাদাব খান, পাকিস্তানি ক্রিকেটার। মৃত্যু ১৬৬৯ - রেমব্রন্ট ফান রেইন, তিনি ছিলেন হল্যান্ডের সবচেয়ে বিখ্যাত শিল্পী এবং ইউরোপের ইতিহাসের সেরা চিত্রশিল্পী ও ছাপচিত্রশিল্পী। (জ. ১৬০৬) ১৯৪৭ - মাক্স প্লাংক, জার্মান তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানী। (জ.২৩/০৪/১৮৫৮) ১৯৬২ - প্যাটসি হেনড্রেন, ইংরেজ ক্রিকেটার। (জ. ১৮৮৯) ১৯৬৯ - নাটালিনো অট্টও, তিনি ছিলেন ইতালীয় গায়ক ও অভিনেতা। ১৯৬৯ - ভাইবার্ট উইট, ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটার। (জ. ১৯০২) ১৯৭৪ - আবুল হাশিম, তিনি ছিলেন চিন্তাবিদ ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। ১৯৭৮ - নেপাল নাগ, তিনি ছিলেন একজন বিপ্লবী।(জ.১৯/০৯/১৯০৯) ২০০০ - মাইকেল স্মিথ, তিনি ছিলেন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ইংরেজ কানাডিয়ান রসায়নবিদ। ২০১২ - দেফনি স্লেটার, তিনি ছিলেন ইংরেজ অভিনেত্রী। ২০১৩ - ভো নগুয়েন গিয়াপ, ভিয়েতনামী রাজনীতিবিদ এবং ভিয়েতনাম গণফৌজের একজন জেনারেল। (জ. ১৯১১) ২০১৯ - ডাইঅ্যান ক্যারল, মার্কিন অভিনেত্রী, সঙ্গীতশিল্পী ও মডেল। (জ. ১৯৩৫) ছুটি ও অন্যান্য বিশ্ব প্রাণী দিবস ৷ তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ বিষয়শ্রেণী:গ্রেগরীয় পঞ্জিকার দিন বিষয়শ্রেণী:অক্টোবর
৪ অক্টোবর
কস্তুরী মূলত পুরুষ হরিণের পেটে অবস্থিত সুগন্ধী গ্রন্থি নিঃসৃত সুগন্ধীর নাম। মিলন ঋতুতে পুরুষ হরিণের পেটের কাছের কস্তুরী গ্রন্থি থেকে সুগন্ধ বের হয়, যা মেয়ে হরিণকে আকৃিষ্ট করে ৷ ঋতুর শেষে তা হরিণের দেহ থেকে খসে পরে যায় ৷ সেটা সংগ্রহ করে রোদ শুকিয়ে কস্তুরী তৈরি করা হয় ৷ হরিণের দশ বছর বয়সে নাভির গ্রন্থি পরিপক্ব হয়। এ সময় হরিণটিকে হত্যা করে নাভি থেকে তুলে নেওয়া হয় পুরো গ্রন্থিটি। তারপর রোদে শুকানো হয়। একটা পূর্ণাঙ্গ কস্তুরী গ্রন্থির ওজন প্রায় ৬০-৬৫ গ্রাম। এটি বিশেষ ধরনের প্রাণিজ সুগন্ধি। হরিণের নাভি থেকে পাওয়া যায় এই কস্তুরী, যা মহামূল্যবান সুগন্ধি হিসেবে পরিচিত। কস্তুরীনামাঃ সুগন্ধি বহু গুণসম্পন্ন এবং বহু নামসম্পন্ন। এর ঘ্রাণ প্রকৃত যোজনগন্ধা বললে কম বলা হয়। কথিত আছে কস্তুরীর এক তিল পরিমাণ কোন বাড়িতে ফেললে বহু বছর সেখানে এর ঘ্রাণ থাকে। তিন হাজার ভাগ নির্গন্ধ পদার্থের সঙ্গে এর এক ভাগ মেশালে সমস্ত পদার্থই সুবাসিত হয় কস্তুরীর ঘ্রাণে। কস্তুরী সংগ্রহকারীরা এই সুগন্ধিকে প্রায় প্রকৃত অবস্থায় রাখেন না; সচরাচর অন্য পদার্থের সঙ্গে মিশিয়ে বিক্রি করেন। অন্য পদার্থের মধ্যে রক্ত বিশেষ একটি উপাদান। শুকিয়ে যাওয়া রক্তের সঙ্গে কস্তুরীর বিশেষ সাদৃশ্য আছে । কস্তুরীর সুবাসেও আছে বৈচিত্র্য এবং এটি ভিন্ন ভিন্ন নামেও সুগন্ধি ফুলের মতোই যুগ যুগ ধরে মানুষের দৃষ্টি কেড়েছে কস্তুরী মৃগ। এই মৃগ অর্থাৎ হরিণ এক প্রজাতির পুরুষ হরিণ। ইংরেজি নাম ‘মাস্ক ডিয়ার’। এরা খুব লাজুক স্বভাবের। তাই নিরিবিলি বাস করে। বিচরণ করে একান্ত নির্জনে। হিমালয় পর্বতমালার উচ্চ পার্বত্য অঞ্চলে উৎকৃষ্ট কস্তুরীমৃগ পাওয়া যায়। ওই অঞ্চলে একপ্রকার ছোট আকারের হরিণ আছে, তারা ছাগলের চেয়ে বড় নয় কিন্তু দেখতে অত্যন্ত সুন্দর। এদের পা অতি সরু, মাথা সুন্দর এবং চোখ চমৎকার উজ্জ্বল । এই হরিণ অন্য হরিণ থেকে আলাদা নয়। অত্যন্ত শীতল পার্বত্য পরিবেশে বাস করায় এদের লোম সরু না হয়ে অত্যন্ত মোটা ও পালকের মতো হয়। এ ছাড়া পামির মালভূমির গ্রন্থি পর্বতমালায় তৃণভূমি সমৃদ্ধ উপত্যকায় এই হরিণ পাওয়া যায়। কস্তুরী মৃগের ওপরের মাড়ি থেকে গজদন্তের মতো দুটি দাঁত ছোট আকারে বের হয়। এ ধরনের দাঁত সব প্রজাতির হরিণের ক্ষেত্রে দেখা যায় না। এই দেখেই কস্তুরী মৃগ সনাক্ত করা হয়। এই প্রজাতির হরিণ আত্মরক্ষায় পটু। কিন্তু তারা নিজেদের লুকিয়ে রাখতে পারে না, কারণ এদের দেহের তীব্র ঘ্রাণ। এই ঘ্রাণ অনুসরণ করে শিকারি ঠিকই এদের সন্ধান পেয়ে যায়। এই হরিণের নাভি থেকেই মূলত এই সুগন্ধি দ্রব্য সংগ্রহ করা হয়। পুরুষ হরিণের নাভি মুখের গ্রন্থিতে এক বিশেষ ধরনের কোষের জন্ম হয়। এই কোষ যখন পূর্ণতা লাভ করে তখন এ থেকেই সুঘ্রাণ বের হতে থাকে। হরিণের ১০ বছর বয়সে সুগন্ধি কোষ পূর্ণতা লাভ করে। তবে মজার ব্যাপার হলো, যে হরিণটির নাভিতে এই কোষের জন্ম, সে নিজে কিছুই বুঝতে পারে না। তার নাকে যখন এই সুগন্ধ এসে লাগে তখন সে পাগলের মতো ছুটতে থাকে এই সুঘ্রাণের উৎসের সন্ধানে। অথচ সে বুঝতে পারে না যে, সুঘ্রাণ ছড়িয়ে পড়ছে তার নিজের দেহ থেকেই। এই হরিণের দশ বছর বয়সে নাভির গ্রন্থি পরিপক্ব হয়। এ সময় হরিণটিকে হত্যা করে নাভি থেকে তুলে নেওয়া হয় পুরো গ্রন্থিটি। তারপর রোদে শুকানো হয়। একটা পূর্ণাঙ্গ কস্তুরী গ্রন্থির ওজন প্রায় ৬০-৬৫ গ্রাম। কস্তুরীকোষের বাইরের দিকটায় থাকে এলোমেলো কিছু লোম। সেগুলো ছাড়িয়ে শুকনো কোষটিকে যখন জলেতে ভেজানো হয়, তখন পরিষ্কার কস্তুরী বেরিয়ে আসে। কোনো কোনো হরিণের মধ্যে পাওয়া যায় খুব কম পরিমাণে কস্তুরী। অপরদিকে এই প্রজাতির সকল হরিণের নাভিতে একই পরিমাণে কস্তুরী উৎপন্ন হয় না; হরিণের বয়স এবং পরিবেশভেদে কস্তুরীর পরিমাণের তারতম্য হয় । দেখা গেছে, এক কিলোগ্রাম কস্তুরী পাওয়ার জন্য প্রায় দুই হাজার হরিণ শিকার করতে হয়। কস্তুরী যখন সংগ্রহ করা হয় তখন এর গন্ধ এত উগ্র থাকে যে হরিণের নাভিকোষ কেটে নেওয়ার সময় শিকারিরা মোটা কাপড় দিয়ে নিজেদের নাক বেঁধে নেয়। অনেক সময় এ গন্ধ সহ্য করা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। কারো কারো চোখ, নাক থেকে জল ও মুখ থেকে লালা ঝরা শুরু হয়। এমনকি জীবনহানিও ঘটে। তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:প্রাণীজাত পদার্থ
কস্তুরী
ঘটনাবলী ২০১৩ - আর্জেন্টিনার বুয়েনোস আইরেস ও লা প্লাতায় রেকর্ড বৃষ্টির পর বন্যায় ৫০ জন নিহত হয়। জন্ম ১৭৮৩ - ওয়াশিংটন আরভিং, মার্কিন ছোটগল্পকার, প্রাবন্ধিক, জীবনীকার, ইতিহাসবেত্তা ও কূটনীতিক। (মৃ. ১৮৫৯) ১৮৮৪ - জিমি ম্যাথুজ, অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার। (মৃ. ১৯৪৩) ১৯০৩ - কমলাদেবী চট্টোপাধ্যায় ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামী ও সমাজ সংস্কারক।(মৃ.২৯/১০/১৯৮৮) ১৯১৪ - শ্যাম মানেকশ’পারস্য বংশোদভূত ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রথম ফিল্ড মার্শাল।(মৃ.২৭/০৬/২০০৮) ১৯২২ - ডরিস ডে, মার্কিন অভিনেত্রী, সঙ্গীতশিল্পী, ও প্রাণি-কল্যাণকর্মী। (মৃ. ২০১৯) ১৯২৪ - মার্লোন ব্রান্ডো, মার্কিন চলচ্চিত্র অভিনেতা। (মৃ. ২০০৪) ১৯২৯ - ফজলুর রহমান খান, বাংলাদেশী স্থপতি ও পুরকৌশলী। (মৃ. ১৯৮২) ১৯৫০ - আলমগীর, বাংলাদেশী চলচ্চিত্র অভিনেতা। ১৯৭৮ - টমি হাস, জার্মান টেনিস খেলোয়াড়। ১৯৯৫ - তাসকিন আহমেদ, বাংলাদেশী ক্রিকেটার। মৃত্যু ১৬৮০ - ছত্রপতি শিবাজী মহারাজ, ভারতের মারাঠা সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা।(জ.১৯/০২/১৬৩০) ১৯৩২ - বামাপদ বন্দ্যোপাধ্যায় সুপ্রসিদ্ধ বাঙালি চিত্রশিল্পী ।(জ.০৬/০৩/১৮৫১) ১৯৭৭ - জ্যাক রাইডার, অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার। ১৯৭৯ - সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ, বাংলাদেশী প্রখ্যাত বিচারপতি। ১৯৯১ - গ্রাহাম গ্রীন, খ্যাতিমান ইংরেজ ঔপন্যাসিক, গল্পকার ও সমালোচক। ছুটি ও অন্যান্য জাতীয় চলচ্চিত্র দিবস, বাংলাদেশ। তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ বিবিসি: এই দিনে দি নিউইয়র্ক টাইমস: এই দিনে বিষয়শ্রেণী:গ্রেগরীয় পঞ্জিকার দিন এপ্রিল ০৩
৩ এপ্রিল
ঘটনাবলী ১২০৪ - ক্রুসেডের বাহিনী কনস্তানতিনোপল (ইস্তাম্বুল) দখল করে নেয়। ১৫৩১ - এসমল কালদিক নামে জার্মান প্রটেস্টটানদের মধ্যে সামরিক ও ধর্মীয় ক্ষেত্রে একটি সমঝোতা চুক্তি হয়। ১৬৩৩ - গ্যালিলিও গ্যালিলির বিচার শুরু হয়। ১৮০১ - উইলিয়াম কেরি ফোর্ট উইলিয়াম কলেজে বাংলা ভাষার অধ্যাপক নিযুক্ত হন। ১৮৬১ - আমেরিকার গৃহযুদ্ধের (১৮৬১-১৮৬৫)আনুষ্ঠানিক সূত্রপাত ঘটে। ১৮৬৭ - জাপানি সংস্কারবাদী মোৎসিহিতু সম্রাট হিসেবে ক্ষমতাসীন হন। ১৯১৯ - রাওলাট আইনের প্রতিবাদে কলকাতা, লাহোর, বোম্বাই ও অমৃতসরে বিক্ষোভ শুরু হয়। ১৯৩২ - স্পেনে বাদশাহী শাসনের অবসান ঘটে এবং প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৫৫ - পোলিও টিকার উন্নয়ন সাধন করেন ডা. জনাস সক এবং ঘোষণা দেন নিরাপদ ও কার্যকরী বলে। ১৯৬১ - বিশ্বের প্রথম মহাকাশ নভোচারী ইউরি গাগারিন মহাশূন্যে পাড়ি দেন। জন্ম ০৮১২ - মোহাম্মদ আত-তাকি, তিনি ছিলেন শিয়া মুসলিম ইমাম। ১৭৪৮ - আন্টইনে লরেন্ট ডি জুসিয়েউ, তিনি ছিলেন ফরাসি উদ্ভিদবিজ্ঞানী ও লেখক। ১৮২২ - হেনরি পিয়ারসন, তিনি ছিলেন ইংরেজ সঙ্গীত স্রষ্টা। ১৮২৩ - আলেকজান্ডার অস্ট্রভস্কাই, তিনি ছিলেন রাশিয়ান নাট্যকার ও অনুবাদক। ১৮৫২ - ফেরডিনান্ড ভন লিন্ডেমান, তিনি ছিলেন জার্মান গণিতবিদ ও শিক্ষাবিদ। ১৮৭৫ - অতুলচন্দ্র দত্ত, বাঙালি সাহিত্যিক। ১৯৮৪ - অট্টো ফ্রিটজ মেয়ারহফ, তিনি ছিলেন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী জার্মান চিকিৎসক ও প্রাণরসায়নবিদ। ১৮৮৫ - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়, বাঙালি ইতিহাসবিদ, প্রত্নতত্ত্ববিদ এবং লেখক। ১৯০৩ - জান টিনবারগেন, তিনি ছিলেন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ডাচ অর্থনীতিবিদ। ১৯০৮ - ভার্জিনিয়া চেরিল, মার্কিন নির্বাক চলচ্চিত্র অভিনেত্রী। (মৃ. ১৯৯৬) ১৯১৭ - হেলেন ফরেস্ট, মার্কিন গায়ক। ১৯১৭ - বিনু মানকড়, ভারতীয় ক্রিকেটার। ১৯৩৩ - মন্টসেরাট কাবালে, তিনি ছিলেন স্প্যানিশ সরু ও অভিনেত্রী। ১৯৪০ - বশির আহমদ, তিনি ছিলেন বাংলাদেশী গায়ক। ১৯৪০ - এই দিনে হার্বি হ্যানকক, তিনি আমেরিকান পিয়ানোবাদক ও সুরকার। ১৯৪১ - ববি মুর, তিনি ছিলেন ইংরেজ ফুটবল খেলোয়াড় ও ম্যানেজার। ১৯৪২ - জ্যাকব গেদলেইলেকিসা জুমা, তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার রাজনীতিবিদ ও ৪র্থ প্রেসিডেন্ট। ১৯৪৭ - ডেভিড লেটারম্যান, তিনি আমেরিকান কৌতুকাভিনেতা, অভিনেতা ও টক শো হোস্ট। ১৯৪৮ - ইয়শকা ফিশার, তিনি জার্মান শিক্ষাবিদ ও রাজনীতিবিদ। ১৯৫৪ - প্রখ্যাত ভারতীয় নাট্যশিল্পী, নাট্যকার ও পরিচালক সফদার হাশমি(মৃ.০২/০১/১৯৮৯) ১৯৫৬ - অ্যান্ডি গার্সিয়া, তিনি কিউবান বংশোদ্ভূত আমেরিকান অভিনেতা, গায়ক, পরিচালক ও প্রযোজক। ১৯৭১ - শানেন ডোহার্টি, তিনি আমেরিকান অভিনেত্রী, পরিচালক ও প্রযোজক। ১৯৭৯ - মাটেজা কেযমান, তিনি সার্বীয় ফুটবলার। ১৯৭৯ - জেনিফার মরিসন, তিনি আমেরিকান অভিনেত্রী। ১৯৭৯ - ক্লেয়ার ডেইন্স, মার্কিন অভিনেত্রী। ১৯৮৭ - ব্রুকলিন ডেকার, তিনি আমেরিকান মডেল ও অভিনেত্রী। ১৯৮৮ - রিকার্দো গাব্রিয়েল আলবারেস, তিনি আর্জেন্টিনার ফুটবলার। মৃত্যু ০২৩৮ - দ্বিতীয় গরডিয়ান, তিনি ছিলেন রোমান সম্রাট। ১৭৮২ - মেটাস্টাসিও, তিনি ছিলেন ইতালিয়ান কবি। ১৮১৭ - চার্লস মেসিয়ের, তিনি ছিলেন ফরাসি জ্যোতির্বিজ্ঞানী ও শিক্ষাবিদ। ১৯৪৫ - ফ্রাংক্‌লিন ডেলানো রুজ্‌ভেল্ট, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৩২তম রাষ্ট্রপতি। ১৯৬২ -ভারতরত্ন এম বিশ্বেশ্বরাইয়া,ভারতের প্রখ্যাত সিভিল ইঞ্জিনিয়ার,দক্ষ প্রশাসক ও দূরদর্শী রাষ্ট্রনেতা।(জ.১৫/০৯/১৮৬০) ১৯৭৫ - ফতেহ লোহানী, তিনি ছিলেন বাংলাদেশী অভিনেতা, চলচ্চিত্র পরিচালক, লেখক ও সাংবাদিক। ১৯৮১ - জো লুইস, তিনি ছিলেন আমেরিকান মুষ্টিযোদ্ধা। ১৯৯৭ - জর্জ ওয়াল্ড, তিনি ছিলেন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী আমেরিকান স্নায়ু। ২০১১ - শচীন ভৌমিক,হিন্দি চলচ্চিত্র জগতের একজন বিখ্যাত গল্প লেখক এবং চিত্রনাট্যকার । (জ.১৭/০৭/১৯৩০) ২০১২ - মোহিত চট্টোপাধ্যায় ভারতীয় কবি, নাট্যকার ও চিত্রনাট্যকার ।(জ.০১/০৬/১৯৩৪) ২০১২ - লিন্ডা কুক, মার্কিন অভিনেত্রী। ২০১৫ - ইব্রাহিম সুলাইমান মুহাম্মদ আরবায়শ, তিনি ছিলেন সৌদি আরব সন্ত্রাসী। ছুটি ও অন্যান্য মহাকাশে মানুষের প্রথম গমন উপলক্ষে আন্তর্জাতিকভাবে প্রতি বছর ইউরির রাত্র পালন করা হয়। বহিঃসংযোগ বিবিসি: এই দিনে দ্য নিউইয়র্ক টাইমস: এই দিনে বিষয়শ্রেণী:গ্রেগরীয় পঞ্জিকার দিন বিষয়শ্রেণী:এপ্রিল
১২ এপ্রিল
ঘটনাবলী ১০৬১ - ইংল্যান্ডের আকাশে হ্যালির ধূমকেতু দেখা যায়। ১২৭১ - ভ্যানেশীয় বিখ্যাত পর্যটক ও ব্যবসায়ী মার্কো পোলো তার ঐতিহাসিক এশিয়া সফর শুরু করেন । ১৫৫৮ - ফ্রান্সের যুবরাজ ফ্রাঙ্কোইস মেরি স্টুয়ার্টকে বিয়ে করেন। ১৭৬২ - রাশিয়া ও প্রুশিয়া শান্তিচুক্তি করে। ১৮০০ - লাইব্রেরি অব কংগ্রেস প্রতিষ্ঠা করা হয়। ১৮৯৮ - মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে স্পেন যুদ্ধ ঘোষণা করে। ১৯১২ - ব্রিটিশ শাসিত আয়ারল্যান্ড স্বাধীনতার দাবীতে এবং সেদেশে ইংরেজদের আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলন শুরু করে । ১৯১৬ - ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে আয়ারল্যান্ডের গণ-অভ্যুত্থান শুরু। ১৯২৬ - যক্ষার ভ্যাকসিন বিসিজি আবিষ্কার হয় । ১৯৪৫ - সাবেক সোভিয়েত সেনাবাহিনী বার্লিনে প্রবেশ করে। ১৯৫৪ - রাজশাহীর কারাগারের খাপড়া ওয়ার্ডে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে কম্পরাম সিং, আনোয়ার হোসেন প্রমুখ ৭ জন রাজবন্দীকে হত্যা করা হয়। ১৯৫৫ - প্রথম বান্দুং সম্মেলন সমাপ্ত হয়। ১৯৭০ - গাম্বিয়া প্রজাতান্ত্রিক দেশ হিসেবে ঘোষিত হয়। ২০১৩ - রানা প্লাজা ট্র‍্যাজিডিতে প্রাণ হারায় ১ হাজারের বেশি শ্রমিক এবং আহত হয় ২ হাজারেরও বেশি শ্রমিক।এটি ইতিহাসের তৃতীয় বৃহত্তম শিল্প দুর্ঘটনা হিসেবে পরিচিত। জন্ম ৭০২ - ইমাম জাফর আল-সাদিক, শিয়া ইমাম। ১৮৯৩ - জ্ঞানেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বাঙালি রসায়ন বিজ্ঞানী।(মৃ.১০/০৫/১৯৮৩) ১৮৯৭ - বেনজামিন হোর্ফ, মার্কিন ভাষাবিজ্ঞানী। (মৃ. ১৯৪১) ১৯০৮ - যোসেফ গসলোভস্কি, পোলিশ ভাস্কর। (মৃ. ১৯৬৩) ১৯২৮ - টমি ডোচার্টি, স্কটিশ ফুটবলার এবং পরিচালক। ১৯৩৪ - শার্লি ম্যাকলেইন, মার্কিন অভিনেত্রী, গায়িকা, নৃত্যশিল্পী, সমাজকর্মী ও লেখক। ১৯৪২ - বারবারা স্ট্রাইস্যান্ড, মার্কিন গায়িকা, গীতিকার,অভিনেত্রী এবং চলচ্চিত্র নির্মাতা। ১৯৬৪ - জিমোঁ উন্সু, বেনিনীয় অভিনেতা ও মডেল। ১৯৬৮ - এইডান গিলেন, আইরিশ চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন অভিনেতা। ১৯৭৩ - শচীন টেন্ডুলকার, ভারতীয় ক্রিকেটার। ১৯৮৭ - ইয়ান ভের্তোনেন, বেলজিয়াম ফুটবলার। ১৯৮৭ - বরুণ ধবন, ভারতীয় চলচ্চিত্র অভিনেতা। মৃত্যু ১৭৩১ - ড্যানিয়েল ডিফো, ইংরেজ ব্যবসায়ী, লেখক, সাংবাদিক, প্যাম্ফলেট রচয়িতা এবং গোয়েন্দা। ১৯৬৫ - লুইস ড্রেসার, আমেরিকান অভিনেত্রী। ১৯৭২ - যামিনী রায়, বাঙালি চিত্রশিল্পী। (জ.১৮৮৭) ভূপেন্দ্রকিশোর রক্ষিত রায়, ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম ব্যক্তিত্ব এবং অগ্নিযুগের বিপ্লবী।(জ.১৯০২) ২০০৬ - নাসরীন পারভীন হক, বাংলাদেশের অন্যতম মানবাধিকার নেত্রী। ২০১১ - সত্য সাঁই বাবা , পূর্বাশ্রমের নাম সত্যনারায়ণ রাজু) ভারতীয় হিন্দু ধর্মগুরু, আধ্যাত্মিক ব্যক্তিত্ব ও শিক্ষাবিদ।(জ.২৩/১১/১৯২৬)। ছুটি ও অন্যান্য রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি দিবস (বাংলাদেশ) ৷ বিশ্ব মেধা সম্পদ দিবস। বহিঃসংযোগ বিবিসি: এই দিনে দি নিউইয়র্ক টাইমস: এই দিনে বিষয়শ্রেণী:গ্রেগরীয় পঞ্জিকার দিন বিষয়শ্রেণী:এপ্রিল বিষয়শ্রেণী:অসম্পূর্ণ দিনতারিখ
২৪ এপ্রিল
মামুনুর রশীদ (জন্ম ২৯ ফেব্রুয়ারি ১৯৪৮) একজন প্রখ্যাত বাংলাদেশী নাট্যকার, অভিনেতা ও নাট্য পরিচালক। স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশের মঞ্চ আন্দোলনের পথিকৃত। তার নাট্যকর্মে প্রখর সমাজ সচেতনতা লক্ষনীয়। শ্রেণী সংগ্রাম তার নাটকের এক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়বস্তু। তিনি টিভির জন্যেও অসংখ্য নাটক লিখেছেন এবং অভিনয় করেছেন। বিভিন্ন সামাজিক ইস্যূ নিয়ে, শ্রেণী সংগ্রাম, ক্ষুদ্র জাতিসত্তা অধিকার আদায়ের নানা আন্দোলন নিয়ে নাটক রচনা ও নাট্য পরিবেশনা বাংলাদেশের নাট্য জগতে মামুনুর রশিদকে একটা আলাদা স্থান করে দিয়েছে। মামুনুর রশিদ এর জন্ম ২৯ ফেব্রুয়ারি ।লিপইয়ার হওয়ায় দিনটি ৪ বছর পরপর আসে । নাট্যকলায় বিশেষ অবদানের জন্য ২০১২ সালে তিনি একুশে পদকে ভুষিত হন। প্রারম্ভিক জীবন নাট্যজীবন ১৯৬৭ সালে তিনি তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তানে টেলিভিশনের জন্য নাটক লিখতে শুরু করেন যার বিষয়বস্তু ছিল মূলত পারিবারিক। সেসময় কমেডি নাটকও তিনি লিখতেন। নাট্যশিল্পের প্রতি তার প্রকৃত ভালবাসা শুরু হয় টাঙ্গাইলে তার নিজ গ্রামে যাত্রা ও লোকজ সংস্কৃতির সঙ্গে তার নিবিড় পরিচয়ের সূত্র ধরে। তার যাত্রার অভিনয় অভিজ্ঞতা তার নাট্যভাবনাকে খুবই প্রভাবিত করেছিল। ১৯৭১ সালে তিনি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন এবং জড়িত হন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের সঙ্গে। মুক্তিযুদ্ধকালীন তিনি তার প্রথম রচিত নাটক ‘পশ্চিমের সিঁড়ি’ কলকাতার রবীন্দ্রসদনে মঞ্চায়নের চেষ্টা করেন; কিন্তু তার আগেই ১৬ ডিসেম্বর দেশ স্বাধীনতা অর্জন করায়, নাটকটি আর তখন অভিনীত হয় নি। পরে নাটকটি ১৯৭২ সালে বাংলাদেশে অভিনীত হয়। সেই সময়টাও তার নাট্যচর্চ্চায় প্রতিফলিত হয়েছে বিভিন্ন সময়ে। ১৯৭২ সালে কলকাতা থেকে স্বাধীন বাংলাদেশে ফিরে তিনি তৈরি করেন তার আরণ্যক নাট্যদল। ব্যক্তিগত জীবন নাট্যকার মামুনুর রশিদ স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশের মঞ্চ আন্দোলনের পথিকৃত। তার নাট্যকর্মে প্রখর সমাজ সচেতনতা লক্ষনীয়। শ্রেণী সংগ্রাম তার নাটকের এক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়বস্তু। তিনি টিভির জন্যে অসংখ্য নাটক লিখেছেন এবং অভিনয় করেছেন। উল্লেখযোগ্য নাট্যকর্ম পুরস্কার মামুনুর রশিদ নাট্যাঙ্গনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার জন্য বিশেষ সম্মাননা পেয়েছেন। তাকে এ সম্মাননা প্রদান করেছে 'স্বপ্ন কুঁড়ি' নামের একটি সাহিত্য-সংস্কৃতিবিষয়ক সংগঠন। নাট্যজন মামুনুর রশিদ সত্যেন সেন সম্মাননা পদকে ভূষিত হয়েছেন। তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:১৯৪৮-এ জন্ম বিষয়শ্রেণী:জীবিত ব্যক্তি বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশী নাট্যকার বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশী টেলিভিশন অভিনেতা বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশী মঞ্চ অভিনেতা বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশী চলচ্চিত্র অভিনেতা বিষয়শ্রেণী:টাঙ্গাইল জেলার ব্যক্তি বিষয়শ্রেণী:শ্রেষ্ঠ খলচরিত্রে অভিনয়ের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (বাংলাদেশ) বিজয়ী বিষয়শ্রেণী:আলাওল সাহিত্য পুরস্কার বিজয়ী
মামুনুর রশীদ
বেয়ন্ত সিং (পাঞ্জাবি: ਬੇਅੰਤ ਸਿੰਘ; ৬ জানুয়ারি ১৯৫৯ – ৩১ অক্টোবর ১৯৮৪) জন্ম ভারতের পাঞ্জাবের জয়তুতে, ইন্দিরা গান্ধীর একজন দেহরক্ষী ছিলেন, যে ইন্দিরা গান্ধীর হত্যাকান্ডে অংশগ্রহণ করেন এবং প্রধানমন্ত্রীর অন্য দেহরক্ষী দ্বারা নিহত হন। তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ Beant Singh Biography বিষয়শ্রেণী:১৯৫৯-এ জন্ম বিষয়শ্রেণী:১৯৮৪-এ মৃত্যু বিষয়শ্রেণী:ভারতীয় শিখ বিষয়শ্রেণী:পাঞ্জাবি ব্যক্তি বিষয়শ্রেণী:সরকারের প্রধান-এর গুপ্তঘাতক বিষয়শ্রেণী:আততায়ী
বেয়ন্ত সিং
বড়কুঠি বাংলাদেশের রাজশাহী অঞ্চলের সর্বপ্রাচীন ইমারত। সুনির্দিষ্টভাবে এই ইমারতের নির্মাণকাল নির্ধারণ করা না গেলেও বিভিন্ন সূত্রের বিচারে এর নির্মাণকাল অষ্টাদশ শতাব্দীর প্রথমার্ধে বলে ধারণা করা হয়। এটি প্রথমে ওলন্দাজ বা ডাচদের ব্যাবসাকেন্দ্র ছিল। ঊনবিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে ডাচরা ভারতে তাদের কর্মকাণ্ড গুটিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় এবং ১৮১৪ সালে ইংরেজদের সাথে একটি চুক্তি করে বড়কুঠিসহ ভারতের সকল বাবসা কেন্দ্র ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিকে হস্তান্তর করে। বড়কুঠির দায়িত্ব গ্রহণ করে ১৮৩৩ সাল পর্যন্ত তারা এটিকে তাদের বাণিজ্যিক কেন্দ্র হিসাবে ব্যবহার করে। ১৯৫৩ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর এই বড়কুঠি এর প্রথম প্রশাসনিক ভবন হিসাবে ব্যবহার করা হয়। বিবরণ বড়কুঠি সাহেব বাজার এবং রাজশাহী কলেজের দক্ষিণে এবং পদ্মা নদীর উত্তর পাড়ে অবস্থিত। ইষ্টক নির্মিত এবং সমতল ছাদ বিশিষ্ট এই ইমারতটি আঠারো শতকের প্রথমার্ধে (১৭২৫ সনের পূর্বে) ওলন্দাজ রেশম ব্যবসায়ীদের নির্মিত এক উল্লেখযোগ্য কীর্তি। কুঠিটির বহির্ভাগ এর দৈর্ঘ্য ২৪ মিটার (৮২-০) এবং প্রস্থ ১৭.৩৭ (৬৭-০)। দ্বিতল বিশিষ্ট এই ইমারতটি বিভিন্ন আয়তনের মোট ১২ টি কক্ষে বিভক্ত। দ্বিতলে একটি সভাকক্ষসহ ৬টি কক্ষ আছে। কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত পূর্ব-পশ্চিমে ৯.৬০ মিটার এবং উত্তর-দক্ষিণে ৬.৩০ মিটার আয়তন বিশিষ্ট আয়তাকার সভাকক্ষের উত্তর ও দক্ষিণ দিকে একটি করে বারান্দা (উত্তরের বারান্দা ৯.৬০ ও ৫.৮৫ মিটার এবং দক্ষিণের বারান্দা ৯.১৮ ও ৫.৮৫ মিটার আয়তন বিশিষ্ট) এবং কক্ষের পশ্চিমদিকে দুটি এবং পূর্ব দিকে এক সারিতে তিনটি কক্ষ বিদ্যমান। প্রকৃতপক্ষে ওলন্দাজ বাবসায়িরা জরুরী সময়ে ইমারতটি দুর্গ হিসাবে ব্যবহার করত। এজন্য ইমারতের ছাদে এবং নিচে বেশকটি কামান শত্রুদের মোকাবেলার জন্য প্রস্তুত থাকত। ১৮৩৩ সালে এটি ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির দখলে আসলে কামানগুলো অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়। এখানকার তিনটি পুরাতন কামান এখনও রাজশাহী পুলিশ লাইন এ সংরক্ষিত আছে। তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় বিষয়শ্রেণী:রাজশাহীর ভবন ও স্থাপনাসমূহ
বড়কুঠি
ঘটনাবলী ১৭৯৪ - ফ্রান্সের রসায়ন বিজ্ঞানের জনক এ্যান্থেনিও লেভিকে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়েছিল। ১৮২৮ - জিন হেনরি ডুনন্ট , রেড় ক্রস এর প্রতিষ্ঠাতা ; নোবেল লরিয়েট (মৃত্যু ৩০ সেপ্টেম্বর ১৯১০) ১৮৬৩ - ভারতে প্রথম রেডক্রস দিবস উদযাপিত হয়। ১৮৮৪ - হ্যারি এস. ট্রুম্যান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৩৩তম রাষ্ট্রপতি। ১৯০২ - দক্ষিণ ফ্রান্সে অবস্থিত একটি পাহাড় থেকে বিকট শব্দে হঠাৎ অগ্ন্যুৎপাত শুরু হওয়ায় সেন পিয়ারে নামের একটি শহর সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যায়। ১৯০৩ - আলভিন রবার্ট কর্নেলিয়াস, পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি। ১৯১১ - আ. ন. ম. বজলুর রশীদ, বাংলাদেশী সাহিত্যিক ও শিক্ষাবিদ। ১৯২১ - রুমানিয়ায় কমিউনিস্ট পার্টি প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯২৪ - কলিম শরাফী, বাংলাদেশী সঙ্গীত শিল্পী। ১৯৪৫ - সোভিয়েত লাল ফৌজের বার্লিন বিজয়ের মধ্য দিয়ে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ফ্যাসিস্ট জার্মানির পরাজয় ঘটে। ১৯৬২ - রবীন্দ্রনাথের জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়িতে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় উদ্বোধন করা হয়। ১৯৯৬ - দক্ষিণ আফ্রিকায় বর্ণবৈষম্য যুগের পরবর্তী নতুন সংবিধান চালু হয়। জন্ম ১৭৩৭ - এডওয়ার্ড গিবন, ইংরেজ ইতিহাসবিদ এবং ব্রিটিশ সংসদ সদস্য। (মৃ. ১৭৯৪) ১৭৫৩ - মিগাল হাইদালগো ইয়ে কসটিল্লা, মেক্সিকান রোমান ক্যাথলিক পুরোহিত এবং মেক্সিকান স্বাধীনতা যুদ্ধের এক নেতা। (মৃ. ১৮১১) ১৮২৮ - জঁ হেনরি ডুনন্ট , রেড ক্রস এর প্রতিষ্ঠাতা ; নোবেল লরিয়েট (মৃত্যু ৩০ সেপ্টেম্বর ১৯১০) ১৮৬১ - কলকাতার জোড়াসাঁকোতে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। ১৮৮৪ - হ্যারি এস. ট্রুম্যান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৩৩তম রাষ্ট্রপতি। ১৮৯৫ - মার্কিন ঔপন্যাসিক, নাট্যকার ও কবি এডমন্ড উইলসন। ১৮৯৯ - ফ্রিড্রিখ হায়েক, একজন অস্ট্রীয় অর্থনীতিবিদ । ১৯০০ - ড. কুদরাত-এ-খুদা। ১৯০৩ - আলভিন রবার্ট কর্নেলিয়াস, পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি। ১৯০৬ - রোবার্তো রোসেলিনি, ইতালীয় চলচ্চিত্র পরিচালক। (মৃ. ১৯৭৭) ১৯১১ - আ. ন. ম. বজলুর রশীদ, বাংলাদেশী সাহিত্যিক ও শিক্ষাবিদ। ১৯১৬ - জোয়াও হ্যাভেলাঞ্জ, ব্রাজিলীয় ব্যবসায়ী এবং ক্রীড়া কর্মকর্তা ছিলেন। (মৃ. ২০১৬) ১৯২৪ - কলিম শরাফী, বাংলাদেশী সঙ্গীত শিল্পী। ১৯২৬ - জোয়াও হ্যাভেলাঞ্জ, প্রখ্যাত ব্রিটিশ সম্প্রচারক, লেখক এবং প্রামাণ্যচিত্র নির্মাতা। ১৯২৯ - গিরিজা দেবী, সেনিয়া ও বারাণসী ঘরানার ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতশিল্পী ।(মৃ.২৪/১০/২০১৭) ১৯৩৭ - থমাস পিনচন, আমেরিকান উপন্যাসিক। ১৯৩৮ - জাভেদ বার্কি, পাকিস্তানের সাবেক আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার এবং অধিনায়ক। ১৯৪২ - রবিন হবস, সাবেক ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। ১৯৪৭ - এইচ রবার্ট হরউইজ, মার্কিন জীববিজ্ঞানী। ১৯৫৭ - রিনো কাতাসে, জাপানি অভিনেত্রী। ১৯৬০ - ফ্রাংকো বারেসি , ইতালীয় ফুটবল খেলোয়াড়। ১৯৬১ - বিল ডি ব্লাজিও মার্কিন রাজনীতিবিদ। ১৯৭০ - মাইকেল বেভান, সাবেক অস্ট্রেলীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা। ১৯৭০ - লুইস এনরিকে, স্পেনীয় ফুটবল ম্যানেজার এবং প্রাক্তন খেলোয়াড়। ১৯৭৫ - এনরিক ইগলেসিয়াস, স্প্যানিশ-আমেরিকান গায়ক, গীতিকার, অভিনেতা এবং সংগীত প্রযোজন। ১৯৮১ - স্টিফেন এমেল, কানাডিয়ান অভিনেতা। ১৯৯৩ - প্যাট কামিন্স, অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার। মৃত্যু ১৭৮৮ - জিওভান্নি আন্তোনিও স্কোপোলি, তাইরলীয় চিকিৎসক ও প্রকৃতিবিদ। (জ. ১৭২৩) ১৭৯৪ - অঁতোয়ান লাভোয়াজিয়ে, ফরাসি অভিজাত এবং রসায়নবিদ। (জ. ১৭৪৩) ১৮৭৩ - রাজনৈতিক অর্থনীতিবিদ জন স্টুয়ার্ট মিল। ১৮৮০ - ফরাসি ঔপন্যাসিক গুস্তাভ ফোবের। ১৯০৩ - পল গোগাঁ, ফরাসি চিত্রকর। (জ. ১৮৪৮) ১৯১১ - সাহিত্যিক ও শিক্ষাবিদ আ.ন.ম বজলুর রশীদ। ১৯৬৫ - ওয়ালি হার্ডিঞ্জ, ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা ও ফুটবলার ছিলেন। (জ. ১৮৮৬) ১৯৮৮ - রবার্ট এ হাইনলাইন, মার্কিন বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী লেখক। ১৯৯৩ - দেবীপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায়, ভারতের একজন প্রখ্যাত মার্কসবাদী দার্শনিক(জ.১৯/১১/১৯১৮) ১৯৯৯ - ডার্ক বোগার্ড, ইংরেজ অভিনেতা ও লেখক। (জ. ১৯২১) ছুটি ও অন্যান্য বিশ্ব রেডক্রস দিবস ৷ বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস। বহিঃসংযোগ বিষয়শ্রেণী:গ্রেগরীয় পঞ্জিকার দিন বিষয়শ্রেণী:মে
৮ মে
ঘটনাবলী ১৫৪৫ - এই দিনে আফগান সম্রাট শের শাহ নিহত হন। ১৭১২ – ষষ্ঠ ক্যারেল হাঙ্গেরির রাজা হিসেবে অভিষিক্ত ১৭৪৬ – রাশিয়া ও অষ্ট্রিয়া সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষর। ১৭৬২ – সুইডেন ও প্রুশিয়া শান্তিচুক্তি স্বাক্ষর। ১৮০৩ – কানেকটিকাটে প্রথম পাবলিক লাইব্রেরি উদ্বোধন। ১৮৯৭ – টেমস নদীর তলদেশে ব্লাক ওয়াল টানেল আনুষ্ঠানিকভাবে খুলে দেওয়া হয়। ১৯২৭ – চীনের নানশানে প্রজন্ড ভূমিকম্পে দুই লক্ষ লোকের প্রাণহানি। ১৯৩৯ – জার্মানির বার্লিনে ইতালী ও জার্মানির মধ্যে শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত। ১৯৭২ – সিলোনের নাম শ্রীলঙ্কা রাখা হয় এবং দেশটি প্রজাতন্ত্র ঘোষিত হয়। ১৯৯০ – উত্তর ও দক্ষিণ ইয়েমেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা এক যৌথ ঘোষণা পত্রে দুই ইয়েমেনকে একত্রীকরণের কথা ঘোষণা করেন। ১৯৯৪ - সম্মিলিত জার্মানীর প্রথম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন রোমান হারজগ। ২০০৪ - ভারতের কংগ্রেস জোটের মনোনীত দেশটির ১৭তম প্রধানমন্ত্রী হিসাবে ডঃ মনমোহন সিং শপথ গ্রহণ করেছিলেন। জন্ম ১৭৭২ - রাজা রামমোহন রায়, প্রথম ভারতীয় ধর্মীয়-সামাজিক পুনর্গঠন আন্দোলন ব্রাহ্মসমাজের প্রতিষ্ঠাতা এবং বাঙালি দার্শনিক। ১৮৫৯ - আর্থার কোনান ডয়েল, স্কটিশ সাহিত্যিক, শার্লক হোম্‌সের গল্পসমূহের জন্য বিখ্যাত। ১৮৮৩ – রাশিয়ার বিখ্যাত কবি ভ্লাদিমির মায়াকুভোস্কি। ১৯০৭ - এর্জে, বেলজীয় কমিক্স লেখক ও চিত্রকর। ১৯০৭ - লরন্স অলিভিয়ে, ইংরেজ অভিনেতা ও পরিচালক। (মৃ. ১৯৮৯) ১৯১৭ - সুনীতি চৌধুরী ঘোষ, ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম নারী বিপ্লবী। ১৯৪৬ - জর্জ বেস্ট, আইরিশ ফুটবলার। ১৯৭০ – রাজকুমারী এলিজাবেথ। মৃত্যু ১১৫৭ – জাপানের সম্রাট গো-রেইজেই। ১৫৪৫ – আফগান সম্রাট শের শাহ। ১৮৮৫ - ভিক্টর হুগো, ফরাসি সাহিত্যক, রাজনীতিবিদ এবং মানবাধিকার কর্মী। ১৮৯৮ - এডওয়ার্ড বেলামি, মার্কিন লেখক এবং সমাজতন্ত্রী ১৯৬৬ - টম গডার্ড, বিখ্যাত ইংরেজ ক্রিকেটার। ১৯৬৭ – মার্কিন কবি ল্যাংস্টন হিউজ। ১৯৯১ - শ্রীপাদ অমৃত ডাঙ্গে, ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রেড ইউনিয়ন নেতা ।(জ.১০/১০/১৮৯৯) ২০১১ -চিদানন্দ দাসগুপ্ত, ভারতীয় চলচ্চিত্র নির্মাতা, চলচ্চিত্র সমালোচক, চলচ্চিত্র ইতিহাসবিদ।(জ.১৯২১ ২০১৮ - তাজিন আহমেদ, বাংলাদেশী অভিনেত্রী, সাংবাদিক ও উপস্থাপক। ছুটি ও অন্যান্য বিশ্ব জীব বৈচিত্র্য দিবস বহিঃসংযোগ বিবিসি: এই দিনে দি নিউইয়র্ক টাইমস: এই দিনে বিষয়শ্রেণী:গ্রেগরীয় পঞ্জিকার দিন বিষয়শ্রেণী:মে বিষয়শ্রেণী:অসম্পূর্ণ দিনতারিখ
২২ মে
জন টেরি একজন ইংরেজ ফুটবল খেলোয়াড়। তিনি ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগে চেল্‌সি দলের পক্ষে খেলে থাকেন। ২০০৬ সালের ফিফা বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ইংল্যান্ড ও চেল্‌সি এর বর্তমান অধিনায়ক তিনি। তিনি বিশ্বের অন্যতম সেরা ডিফেন্ডার হিসাবে বিবেচিত, তিনি তাঁর প্রজন্মের অন্যতম সেরা কেন্দ্রীয় ডিফেন্ডার হিসাবে বিবেচিত, পাশাপাশি সর্বকালের সেরা ইংলিশ এবং প্রিমিয়ার লিগের অন্যতম রক্ষক। তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ বিষয়শ্রেণী:ইংরেজ ফুটবলার বিষয়শ্রেণী:উয়েফা ইউরোপা লীগ বিজয়ী খেলোয়াড় বিষয়শ্রেণী:জীবিত ব্যক্তি বিষয়শ্রেণী:অ্যাস্টন ভিলা ফুটবল ক্লাবের খেলোয়াড় বিষয়শ্রেণী:চেলসি ফুটবল ক্লাবের খেলোয়াড় বিষয়শ্রেণী:নটিংহ্যাম ফরেস্ট ফুটবল ক্লাবের খেলোয়াড় বিষয়শ্রেণী:সেনরাব ফুটবল ক্লাবের খেলোয়াড় বিষয়শ্রেণী:ওয়েস্ট হ্যাম ইউনাইটেড ফুটবল ক্লাবের খেলোয়াড় বিষয়শ্রেণী:প্রিমিয়ার লীগের খেলোয়াড়
জন টেরি
ঘটনাবলী ১০৯৯ - ক্রুসেডাররা জেরুজালেমে প্রবেশ করে। ১৪১৩ - নেপলসের রাজা ল্যাডিস্ল রোম দখল করেন। ১৫৪৬ - আরড্রেস শান্তিচুক্তির মাধ্যমে ফ্রান্স ও স্কটল্যান্ডের সঙ্গে ইংল্যান্ডের যুদ্ধাবসান ঘটে। ১৫৫৭ - ইংল্যান্ড ফ্রান্সের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। ১৬৫৪ - ষোড়শ লুই ফ্রান্সের রাজা হিসেবে অভিষিক্ত হন। ১৭৬৫ - উত্তর পারস্যে ভূমিকম্পে ৪০ হাজার লোক মৃত্যুবরণ করে। ১৮১০ - নবাব সৈয়দ জিনে উদ্দিন বাংলার মসনদে আরোহণ করেন। ১৮৭৯ - ল্যাটিন আমেরিকার তিনটি দেশ পেরু, চিলি ও বলিভিয়ার মধ্যে পাঁচ বছরের যুদ্ধ শুরু হয়। ১৯০৪ - সুইডেনের কাছ থেকে নরওয়ে স্বাধীনতা লাভ করে। ১৯৬৬ - ছয় দফার সমর্থন ও পূর্ণ আঞ্চলিক স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে পূর্ব বাংলায় হরতাল পালিত হয়। পুলিশের গুলিতে ১১ জন নিহত ও শত শত আহত হয়। ১৯৭১ - মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান সরকার কর্তৃক ৫শ’ ও ১শ’ টাকার নোট বাতিল ঘোষণা করা হয়। ১৯৭৩ - বাংলাদেশের পার্বত্যাঞ্চলে সন্তু লারমার নেতৃত্বে শান্তিবাহিনী গঠিত হয়। ১৯৭৫ - ইংল্যান্ডে প্রথম বিশ্বকাপ ক্রিকেট অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৮০ - ইহুদিবাদী ইসরাইলের জঙ্গীবিমানগুলো ইরাকের রাজধানী বাগদাদের কাছে অবস্থিত ইরাকী পারমাণবিক স্থাপনায় এক আগ্রাসী অভিযান চালিয়ে তা ধ্বংস করে দেয়। ১৯৮৮ - বাংলাদেশের সংসদে সংবিধানের অষ্টম সংশোধনী গৃহীত হবার মাধ্যমে পবিত্র ইসলাম ধর্মকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রধর্ম ঘোষণা করা হয়। ১৯৮৯ - সুরিনামে বিমান দুর্ঘটনায় ১৬২ জন মৃত্যুবরণ করে। ১৯৯১ - পাকিস্তানে ট্রেন দুর্ঘটনায় ২শ’ যাত্রীর প্রাণহানি ঘটে। ১৯৯২ - আজারবাইজানে প্রথম বহুদলীয় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এবুলতাজ এলসিব জয়লাভ করেন। জন্ম ১৫৬ - ওয়ু হান, তিনি ছিলেন চিনের সম্রাট। ১৫০২ - তৃতীয় জন, তিনি ছিলেন পর্তুগালের রাজা। ১৭৭০ - রবার্ট জেঙ্কিন্সন, তিনি ছিলেন ইংরেজ রাজনীতিবিদ ও যুক্তরাজ্য প্রধানমন্ত্রী। ১৮১১ - জেমস ইয়াং সিম্পসন, স্কটিশ ডাক্তার। (মৃ. ১৮৭০) ১৮৩৭ - অ্যালোইস হিটলার, তিনি অ্যাডলফ হিটলারের বাবা। ১৮৪৩ - মার্কিন শিক্ষাব্রতী ও আমেরিকায় প্রথম কিন্ডারগার্টেন স্কুলের সূচনাকারী সুশান এলিজাবেথ ব্লো। (মৃ.২৭/০৩/১৯১৬) ১৮৪৮ - পল গোগাঁ, ঊনিশ শতকের প্রখ্যাত ফরাসি চিত্রকর।(মৃ.০৯/০৫/১৯০৩) ১৮৬২ - ফিলিপ এডুয়ার্ড আন্টন ফন লেনার্ড, তিনি ছিলেন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী স্লোভাক বংশোদ্ভূত জার্মান পদার্থবিজ্ঞানী। ১৮৬৮ - চার্লস রেনিয়ে ম্যাকিন্টস, তিনি ছিলেন স্কটিশ চিত্রশিল্পী ও স্থপতি। ১৮৬৮ - মোহাম্মদ আকরম খাঁ, একজন বাঙালি সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ, সাহিত্যিক এবং ইসলামী পণ্ডিত। ১৮৭১ - খাজা সলিমুল্লাহ, ঢাকার নবাব। ১৮৭৯ -আর্নেস্ট হার্টসফিল্ড, তিনি ছিলেন জার্মানীর বিখ্যাত প্রাচ্যবিদ ও ইরান-বিশেষজ্ঞ। ১৮৯৬ - রবার্ট সেন্ডারসন মুল্লিকেন, মার্কিন পদার্থবিজ্ঞানী এবং রসায়নবিজ্ঞানী। (মৃ. ১৯৮৬) ১৮৯৬ - ইমরে নাগি, হাঙ্গেরির বিশিষ্ট সমাজতান্ত্রিক রাজনীতিবিদ। (মৃ. ১৯৫৮) ১৯০৯ - জেসিকা ট্যান্ডি, ব্রিটিশ অভিনেত্রী। (মৃ. ১৯৯৪) ১৯১৭ - রাজেন তরফদার, প্রখ্যাত বাংলা চলচ্চিত্র পরিচালক,অভিনেতা ও চিত্রনাট্যকার ।(মৃ.২৩/১১/১৯৮৭) ডিন মার্টিন, তিনি ছিলেন আমেরিকান গায়ক, অভিনেতা ও প্রযোজক। ১৯২৮ - জেমস আইভরি, তিনি ছিলেন আমেরিকান পরিচালক, প্রযোজক ও চিত্রনাট্যকার। ১৯৩১ - ভার্জিনিয়া ম্যাকেনা, ব্রিটিশ অভিনেত্রী। ১৯৩৫ - শ্যামা, ভারতীয় অভিনেত্রী। (মৃ. ২০১৭) ১৯৪৮ - জিম ওয়ালটন, আমেরিকান ব্যবসায়ী। ১৯৫২ - ওরহান পামুক, ২০০৬ সালের সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী তুর্কী সাহিত্যিক। ১৯৫২ - লিয়াম নিসন, আইরিশ চলচ্চিত্র অভিনেতা। ১৯৫৫ -রঞ্জন ঘোষাল, ভারতীয় বাঙালি সঙ্গীতশিল্পী, গায়ক,গীতিকার, লেখক ও নাট্যব্যক্তিত্ব।(মৃ.০৯/০৭/২০২০) ১৯৫৮ - প্রিন্স রজার্স নেলসন, বিখ্যাত মার্কিন সঙ্গীতশিল্পী। (মৃ. ২০১৬) ১৯৫৯ - মাইক পেন্স, মার্কিন রাজনীতিবিদ এবং আইনজীবি। ১৯৬৪ - গ্রেইম লেব্রয়, সাবেক শ্রীলঙ্কান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। ১৯৬৫ - মাইক ফোলি, আমেরিকান লেখক, অভিনেতা, এবং সাবেক পেশাদার কুস্তিগির এবং ধারাভাষ্যকার। ১৯৭০ - কাফু, ব্রাজিলীয় ফুটবল খেলোয়াড়। ১৯৭২ - ফেরদৌস, বাংলাদেশের একজন চলচ্চিত্র অভিনেতা। মৃত্যু ৮৬২ - আল-মুনতাসির, আব্বাসীয় খলিফা। (জ. ৮৩৭) ১৩২৯ - রবার্ট ব্রুস, তিনি ছিলেন স্কটল্যান্ডের রাজা। ১৫৬৫ - হুসাইন নিজাম শাহ, তিনি ছিলেন দাক্ষিণাত্যের রাজা। ১৮২৬ - ইয়োসেফ ফন ফ্রাউনহোফার, জার্মান আলোকবিজ্ঞানী। (জ.০৬/০৩/ ১৭৮৭) ১৯৩৭ - জিন হার্লো, মার্কিন চলচ্চিত্র অভিনেত্রী। (জ. ১৯১১) ১৯৪৮ - লুই ল্যুমিয়ের, ফরাসি চলচ্চিত্র নির্মাতা ও চলচ্চিত্রের অগ্রদূত। (জ. ১৮৬৪) ১৯৫৪ - অ্যালান টুরিং, ইংরেজ গণিতবিদ, যুক্তিবিদ ও ক্রিপ্টোবিশেষজ্ঞ। (জ.২৩/০৬/১৯১২) ১৮৬৩ - রিচার্ড মার্শ হো, তিনি ছিলেন রোটারি ছাপাখানার মার্কিন উদ্ভাবক। ১৯৬৫ - জুডি হলিডে, মার্কিন অভিনেত্রী, কৌতুকাভিনেত্রী ও গায়িকা। (জ. ১৯২১) ১৯৬৭ - ডরোথি পার্কার, আমেরিকান কবি, লেখক, সমালোচক এবং বিদ্রুপাত্মক রচনাকার ছিলেন। (জ. ১৮৯৩) ১৯৭০ - এডওয়ার্ড মরগ্যান ফরস্টার, একজন ইংরেজ ঔপন্যাসিক, ছোটোগল্পকার ও প্রাবন্ধিক।(জ.০১/০১/১৮৭৯) ১৯৭৮ - রোনাল্ড জর্জ রেফর্ড নোরিশ, ব্রিটিশ রসায়ন বিজ্ঞানী। (জ. ১৮৯৭) ১৯৮০ - হেনরি মিলার, তিনি ছিলেন আমেরিকান লেখক। ২০০২ - বসপ্পা ধনপ্পা জত্তী, ভারতের পঞ্চম ভারতের উপরাষ্ট্রপতি। (জ. ১৯১২) ২০১৫ - ক্রিস্টোফার লী, ইংরেজ অভিনেতা, গায়ক, লেখক এবং দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী। (জ. ১৯২২) ২০১৫ - শেখ রাজ্জাক আলী, বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ ও সাবেক স্পিকার। (জ. ১৯২৮) ছুটি ও অন্যান্য ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবস, বাংলাদেশ। বহিঃসংযোগ বিবিসি: এই দিনে দি নিউইয়র্ক টাইমস: এই দিনে বিষয়শ্রেণী:গ্রেগরীয় পঞ্জিকার দিন বিষয়শ্রেণী:জুন
৭ জুন
ঘটনাবলী ৭০৬ - খলিফা ওয়ালিদ ইবনে আবদুল মালেক কর্তৃক বিখ্যাত মসজিদ জামে দামেস্ক নির্মিত। ১৫৭৬ - রানা প্রতাপ ও সম্রাট আকবরের মধ্যে হলদিঘাটের যুদ্ধ শুরু হয়। ১৭৭৮ - আমেরিকার বিপ্লব যুদ্ধে ব্রিটিশরা ফিলাডেলফিয়া ত্যাগ করে। ১৮১২ - মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গ্রেট ব্রিটেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। ১৮১৫ - ইংরেজ ও জার্মানদের মিলিত শক্তির বিরুদ্ধে ওয়াটারলুর যুদ্ধে নেপোলিয়ন চূড়ান্ত পরাজয় বরণ করেন। ১৮৩০ - ফ্রান্স আলজেরিয়া দখল করে। ১৮৮৭ - জার্মানি ও রাশিয়ার মধ্যে রি-ইনস্যুরেন্স চুক্তি সম্পাদিত হয়। ১৯০৮ - ইউনিভার্সিটি অব ফিলিপিনস প্রতিষ্ঠা হয়। ১৯১৩ - মাসিক সাহিত্য পত্রিকা ‘ভারতবর্ষ’ প্রকাশিত হয়। ১৯৪৪ - সুভাষচন্দ্র বসুর নেতৃত্বে আজাদ হিন্দ ফৌজ ব্রিটিশ শাসনের হাত থেকে মুক্তির সংগ্রাম শুরু করে। ১৯৫৩ - জেনারেল এম নাগিরকে প্রেসিডেন্ট করে মিসরকে প্রজাতন্ত্র ঘোষণা। ১৯৬৫ - এয়ার ভাইস মার্শাল এনগুয়েন কাওকির দ. ভিয়েতনামের প্রধানমন্ত্রী পদে ক্ষমতারোহণ। ১৯৭২ - বঙ্গবন্ধু সুপ্রিমকোর্ট উদ্বোধন করেন। ১৯৭৩ - ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্টির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা কমরেড মুজফ্ফর আহমদের মৃত্যু। ১৯৭৫ - সৌদি বাদশা ফয়সালকে হত্যার দায়ে তার ভাতিজা প্রিন্স মুসায়েদের প্রকাশ্যের শিরশ্ছেদ। ১৯৭৯ - যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যে ভিয়েনায় দ্বিতীয় সল্ট চুক্তি সম্পাদিত হয়। ১৯৯৭ - ক্রিকেটে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক ওয়ান ডে স্ট্যাটাস মর্যাদা লাভ। ১৯৯৭ - তুরস্কের ইসলামপন্থী প্রধানমন্ত্রী নাজম উদ্দীন আরবাকান কট্টর ইসলাম বিদ্বেষী ও ধর্মনিরপেক্ষতাবাদী সেনা বাহিনীর চাপের মুখে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছিলেন। ১৯৯৭ - কম্বোডিয়ার পলাতক খেমারুজ নেতা পলপটের আত্মসমর্পণ। ১৯৯৯ - ২৯ বছর পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তন অনুষ্ঠান। ২০০৪ - ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান। জন্ম ১৮৭৫ - সুনয়নী দেবী, স্বশিক্ষিত খ্যাতিমান ভারতীয় চিত্রশিল্পী ।(মৃ.২৩/০২/১৯৬২) ১৯০১ - অ্যানেস্তেশিয়া নিকোলায়েভনা, রুশ সম্রাট নিকোলাস দ্বিতীয় এর সবচেয়ে ছোট মেয়ে। (মৃ. ১৯১৮) ১৯০৩ - আলোন্‌জো চার্চ, মার্কিন গণিতবিদ এবং যুক্তিবিদ। ১৯০৭ - ফ্রিটজফ শুয়ন, সুইজারল্যান্ডের আধ্যাত্মবাদী দার্শনিক। (মৃ. ১৯৯৮) ১৯১৮ - অরবিন্দ মুখোপাধ্যায়, ভারতের বাঙালি চলচ্চিত্র পরিচালক ।(মৃ.১০/০২/২০১৬) ১৯৩২ - ডাডলি হের্শবাখ, মার্কিন রসায়নবিদ। ১৯৪১ - আতাউর রহমান, একুশে পদক বিজয়ী বাংলাদেশী মঞ্চ ও টেলিভিশন অভিনেতা ও মঞ্চনাটক নির্দেশক। ১৯৪২ - রজার এবার্ট, আমেরিকান সাংবাদিক, সমালোচক ও চিত্রনাট্যকার। (মৃ. ২০১৩) ১৯৪২ - পল ম্যাককার্টনি, ইংরেজ পপ সঙ্গীত তারকা। ১৯৫০ - মাহফুজ আনাম, বাংলাদেশী সাংবাদিক। ১৯৫২ - ক্যারল কেইন, আমেরিকান অভিনেত্রী। ১৯৬২ - লিসা র‌্যান্ডল, হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কিন পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপক। ১৯৮৬ - রিশার গাস্কে, ফরাসি টেনিস খেলোয়াড়। ১৯৮৭ - মঈন আলী, পাকিস্তানি বংশোদ্ভুত একজন ইংরেজ ক্রিকেটার। মৃত্যু ১৯২২ - ইয়াকোবুস কাপ্টাইন, ওলন্দাজ জ্যোতির্বিজ্ঞানী। (জ. ১৮৫১) ১৯২৮ - রুয়াল আমুনসেন, নরওয়েজিয়ান পাইলট এবং এক্সপ্লোরার। (জ. ১৮৭২) ১৯৩৬ - মাক্সিম গোর্কি, বিখ্যাত রুশ সাহিত্যিক। (জ.২৮/০৩/১৮৬৮) ১৯৪৬ - খান বাহাদুর আবদুল মোমেন, বেঙ্গল সিভিল সার্ভিসের সদস্য, সার্ভে এন্ড সেটেলমেন্ট অপারেশনের অফিসার। ১৯৫৩ - স্যার আবদুল হালিম গজনভি, বাঙালি রাজনীতিবিদ, শিল্পপতি। ১৯৫৯ - ইথেল ব্যারিমোর, আমেরিকান অভিনেত্রী (জ. ১৮৭৯) ১৯৭৮ - রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী জাহেদুর রহিম। ১৯৮০ - গোপালদাস মজুমদার খ্যাতনামা প্রকাশক। (জ.২৬/০১/১৮৯০) ১৯৮৬ - ফ্রান্সেস স্কট ফিট্‌জেরাল্ড, মার্কিন লেখিকা, সাংবাদিক ও ডেমোক্র্যাটিক পার্টির সদস্য। (জ. ১৯২১) ১৯৮৭ - বাঙালি চলচ্চিত্র পরিচালক, গীতিকার,সঙ্গীতকার,গল্পকার,ঔপন্যাসিক অভিনেতা হীরেন বসু(জ.২৬/০৯/১৯০৩) ২০০২ - নীলিমা ইব্রাহিম, বাঙালি শিক্ষাবিদ। (জ.১১/১০/১৯২১) ২০০৫ - মুশতাক আলী, ভারতীয় ক্রিকেটার। (জ. ১৯১৪) ২০১০ - হোসে সারামাগো, পর্তুগীজ কথাসাহিত্যিক। (জ. ১৯২২) ছুটি ও অন্যান্য বহিঃসংযোগ বিবিসি: এই দিনে দি নিউইয়র্ক টাইমস: এই দিনে বিষয়শ্রেণী:গ্রেগরীয় পঞ্জিকার দিন বিষয়শ্রেণী:জুন
১৮ জুন
ঘটনাবলী ১৬১৩ - শেক্সপিয়ারের গ্লোব থিয়েটার ভস্মীভূত হয়। ১৭৫৭ - লর্ড ক্লাইভ মুর্শিদাবাদে প্রবেশ করেন এবং মীরজাফর বাংলা বিহার ও উড়িষ্যার নবাব হন। ১৮০৭ - রাশিয়া-তুরস্ক যুদ্ধে অ্যাডমিরাল দিমিত্রি সেনিয়াভিন অটোমান নৌবহর ধ্বংস করেন। ১৮১৭ - ব্রিটিশ পার্লামেন্টে ট্রেড ইউনিয়ন আইন পাস। ১৮৬৮ - প্রেস অ্যাসোসিয়েশনের নিউজ এজেন্সি প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯১৩ - নরওয়েতে মহিলাদের ভোটাধিকার প্রদান। ১৯১৩ - বলকান অঞ্চলে দ্বিতীয় যুদ্ধের সূচনা হয়। ১৯৪৬ - বিকিনিতে আমেরিকার প্রথম পরমাণু বোমা পরীক্ষা। ১৯৬০ - জায়ারের স্বাধীনতা লাভ। ১৯৬৬ - মার্কিন বোমারু বিমান উত্তর ভিয়েতনামের হ্যানয়ে বোমা বর্ষণ করে। ১৯৭৬ - ব্রিটেনের কাছ থেকে সেইশেলস নামক দীপপুঞ্জটি স্বাধীনতা লাভ করে। ১৯৯১ - কোমেকোন নামক অর্থনৈতিক জোটের বিলুপ্তি ঘোষণা করা হয়। ১৯৯২ - আততায়ীর গুলিতে আলজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট বোদিয়াফ নিহত হন। জন্ম ১৩২৬ - প্রথম মুরাদ, উসমানীয় সুলতান। (মৃত্যু ১৩৮৯) ১৮৫৮ - পানামা খালের মার্কিন প্রকৌশলী গোথেলস। ১৮৬৪ - আশুতোষ মুখোপাধ্যায়, শিক্ষাবিদ, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য। (মৃ. ১৯২৪) ১৮৮৩ - চারুচন্দ্র ভট্টাচার্য, প্রখ্যাত অধ্যাপক ও লেখক ।(মৃ.২৬/০৮/১৯৬১) ১৮৯৩ - প্রশান্ত চন্দ্র মহলানবীশ, ভারতীয় বিজ্ঞানী, পরিসংখ্যানবিদ এবং ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউট এর প্রতিষ্ঠাতা।(মৃ.২৮/০৬/১৯৭২) ১৯০০ - অঁতোয়ান দ্য স্যাঁত-এগজ্যুপেরি, একজন ফরাসি লেখক, কবি, অভিজাত, সাংবাদিক এবং বৈমানিক। (মৃ. ১৯৪৪) ১৯০৯ - শ্যামাদাস চট্টোপাধ্যায়, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন পরমাণুবিজ্ঞানী।(মৃ.২৭/০৫/১৯৯৫) ১৯২০ - ফরাসি লেখক ফ্রেদরিক দার্দ । ১৯২৫ - জর্জো নেপোলিতানো, ইতালির নেপলসে জন্মগ্রহণকারী বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ। ১৯২৬ - জাবের আল-আহমেদ আল-সাবাহ, আল-সাবা রাজবংশের স্বাধীনতা পরবর্তী কুয়েতে তৃতীয় আমির। (মৃ. ২০০৬) ১৯৩৬ - বুদ্ধদেব গুহ, ভারতীয় বাঙালি লেখক। ১৯৩৬ - পি কে আয়েঙ্গার, ভারতে পরমাণু কর্মসূচির অন্যতম ব্যক্তিত্ব,ভাবা পরমাণু কেন্দ্রের অধিকর্তা ও ভারতের খ্যাতনামা পরমাণু বিজ্ঞানী।(মৃ.২১/১২/২০১১) ১৯৩৮ - অজিত রায়, বাংলাদেশী সংগীতশিল্পী, সুরকার ও স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের সংগঠক। (মৃ. ২০১১) ১৯৩৯ - অ্যালেন কনলি, অস্ট্রেলীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। ১৯৪৪ - গ্যারি বিউসি, আমেরিকান অভিনেতা। ১৯৪৫ - চন্দ্রিকা কুমারাতুঙ্গা, শ্রীলঙ্কার বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ। ১৯৫৭ - গুরবানগুলি বেরদিমুহামেদু - একজন তুর্কমেনিস্তানের রাজনীতিবিদ। ১৯৫৭ - লেসলি ব্রাউন, মার্কিন প্রিমা বেলেরিনা ও অভিনেত্রী। ১৯৬২ - অ্যামান্ডা ডনোহো, ইংরেজ অভিনেত্রী। ১৯৮০ - বিখ্যাত ইংরেজ গায়িকা ক্যাথেরিন জেনকিনস। ১৯৮৫ - ইয়ান ওয়ার্ডল, স্কটিশ ক্রিকেটার। ১৯৮৬ - এ্যাডওয়ার্ড মায়া, রোমানীয় গায়ক ও ডিজে। ১৯৮৮ - এভার বানেগা, আর্জেন্টিনীয় পেশাদার ফুটবলার। ১৯৯৪ - ক্যামিলা মেন্ডেস, মার্কিন অভিনেত্রী। মৃত্যু ১৩১৫ - র‍্যামন লাল, লেখক ও দার্শনিক। (জ. ১২৩৫) ১৮৭৩ - মাইকেল মধুসূদন দত্ত, উনিশ শতকের বাঙালি কবি। (জ. ১৮২৪) ১৮৮৬ - এডলফ মন্টিসেলি, ফরাসি চিত্রশিল্পী । ১৮৯৫ - টমাস হেনরি হাক্সলি, ইংরেজ জীববিজ্ঞানী, শিক্ষক ও অজ্ঞেয়বাদ দর্শনের অন্যতম প্রবক্তা। (জ. ১৮২৫) ১৯০৪ - টম এমেট, ইংরেজ ক্রিকেটার। (জ. ১৮৪১) ১৯১৯ - কার্ল ব্রুগমান, জার্মান ভাষাবিজ্ঞানী। (জ. ১৮৪৯) ১৯৫৮ - জর্জ গান, ইংরেজ ক্রিকেটার। (জ. ১৮৭৯) ১৯৬৬ - দামেদার কোশাম্বী, বৌদ্ধ ধর্ম বিশারদ। ২০০২ - উলাহ্‌-ইয়োহান ডাল, নরওয়েজীয় কম্পিউটার বিজ্ঞানী। (জ. ১৯৩১) ২০০৩ - ক্যাথরিন হেপবার্ন, মার্কিন অভিনেত্রী। (জ. ১৯০৭) ২০০৭ - এডওয়ার্ড ইয়াং, তাইওয়ানীয় চলচ্চিত্র নির্মাতা। (জ. ১৯৪৭) ২০১৩ - মারগেরিতা হ্যাক, ইতালীয় নভোপদার্থবিজ্ঞানী ও লেখক। (জ. ১৯২২) ২০১৪ - আবুল হোসেন, বাংলাদেশী বাঙালি কবি। (জ. ১৯১৪) ২০১৫ - মুজিবুর রহমান, বাংলাদেশি চিকিৎসা বিজ্ঞানী। ২০২০ - আবদুল্লাহ আল মোহসিন চৌধুরী, বাংলাদেশ সরকারের সাবেক সচিব। (জ. ১৯৬৩) ছুটি ও অন্যান্য প্রকৌশলী দিবস (ইকুয়েডর) বহিঃসংযোগ বিবিসি: এই দিনে দি নিউইয়র্ক টাইমস: এই দিনে বিষয়শ্রেণী:গ্রেগরীয় পঞ্জিকার দিন বিষয়শ্রেণী:জুন
২৯ জুন
ঘটনাবলী ৬২১ - হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর কাছে আকাবায় মদিনাবাসীর প্রথম শপথ অনুষ্ঠিত হয়। ৭৫০ - খলিফা দ্বিতীয় মারওয়ান নিহত হওয়ার মধ্যদিয়ে উমাইয়া বংশের খেলাফতের অবসান। ৭৮৮ - মরক্কোতে ইদ্রিসী রাষ্ট্র গঠিত। ১৫৭৬ - হুসাইন কুলি খান বাংলার শাসক নিযুক্ত হন। ১৮২৩ - ভারতের তৈরি প্রথম জাহাজ ডায়না কলকাতা বন্দর থেকে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করে। ১৮৩২ - সতীদাহ প্রথা বিলোপের বিরুদ্ধে ভারতের গোঁড়া হিন্দুদের আবেদন ব্রিটিশ পার্লামেন্টে নাকচ হয়ে যায়। ১৮৭৮ - ব্রিটেন সাইপ্রাস দখল করে। ১৮৮২ - ব্রিটিশ নৌবহর থেকে আলেকজান্দ্রিয়ায় বোমা বর্ষণ করা হয়। ১৮৮৯ - অবিভক্ত ভারতের কলকাতায় প্রথম প্রতিযোগিতামূলক ফুটবল টুর্নামেন্ট শুরু হয়। ১৯১৯ - নেদারল্যান্ডে ৮ ঘণ্টা কর্মদিবস ও রোববার ছুটি, আইন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯২১ - মঙ্গোলিয়া স্বাধীনতা ঘোষণা করে। ১৯৩০ - অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার ডন ব্রাডম্যান এক দিনে ৩০৯ রান করার রেকর্ড করেন, পরে টেস্ট ম্যাচে তা ৩৩৪ রানের সর্বোচ্চ রেকর্ড হয়েছিল। ১৯৪১ - মস্কোতে ইঙ্গ-রুশ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ১৯৬০ - পাশ্চাত্যের বিভেদ ও শাসন করার নীতির ফসল হিসেবে কঙ্গোয় দীর্ঘস্থায়ী গৃহযুদ্ধ শুরু হয়। ১৯৬০ - জায়ারের কাতাঙ্গা প্রদেশের স্বাধীনতার চেষ্টা চালানো হয়। ১৯৬২ - টেলস্টার উপগ্রহের মাধ্যমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফ্রান্সে টিভি সম্প্রচার শুরু হয়। ১৯৭৯ - আমেরিকার প্রথম স্পেস স্টেশন ‘স্কাইল্যাব’ ভারত মহাসাগরে ভেঙ্গে পড়ে। ১৯৮২ - বিশ্বকাপ ফুটবলে পশ্চিম জার্মানিকে পরাজিত করে ইতালির তৃতীয়বার চ্যাম্পিয়নশিপ লাভ করে। ১৯৯০ - বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গ্যাসের খনি আবিস্কৃত হয়। ১৯৯১ - জেদ্দায় ফিরতি বিমান বিধ্বস্ত হয়ে ২৬৬ হাজী নিহত হয়। ১৯৯৫ - ৮ হাজারেরও বেশি বসনীয় মুসলমান সেব্রেনিৎসা শহরে সার্ব চরমপন্থীদের হাতে নিহত হয়। ১৯৯৮ - বিশ্বকাপ ফুটবলে ফ্রান্স চ্যাম্পিয়ন হয়। ২০০০ - নাইজেরিয়ায় গ্যাসোলিন পাইপ বিস্ফোরিত হয়ে ২০০ নিহত হয়। ২০০২ - চট্টগ্রামের বহদ্দারহাটে সংঘর্ষে ৮ ছাত্রলীগ নেতা নিহত হয়। ২০০৬ - ভারতের মুম্বাইয়ে সিরিজ বোমা হামলায় ২০৯ জন নিহত হয়। ২০১১ - ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের ফুটবল খেলা দেখে বাড়ি ফেরার পথে মিরসরাইয়ের আবুতোরাব বড়তাকিয়া সড়কে সংঘটিত স্মরণকালের ভয়াবহ মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় চিরতরে হারিয়ে যায় ৪৫টি তাজা প্রাণ। জন্ম ১২৭৪ - রবার্ট ব্রুস, তিনি ছিলেন স্কটল্যান্ডের রাজা। ১৫৫৮ - রবার্ট গ্রীনে, তিনি ছিলেন ইংরেজ লেখক ও নাট্যকার। ১৭৩২ - ঝসেফ লালাদঁর, তিনি ছিলেন ফরাসি জ্যোতির্বিদ। ১৭৬৭ - জন কুইন্সি এডাম্স, তিনি ছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ষষ্ঠ রাষ্ট্রপতি। ১৮৮২ - বাবা কাঁশীরাম,ভারতীয় কবি, স্বাধীনতা সংগ্রামী এবং সমাজ সংস্কারক। (মৃ.১৫/১০/১৯৪৩) ১৮৯৭ - শিবনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, বাঙালি শ্রমিক নেতা, সাম্যবাদী স্বাধীনতা সংগ্রামী।(মৃ.১৬/১২/১৯৮২) ১৭৬৭ - মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ষষ্ঠ রাষ্ট্রপতি জন কুইন্সি এডাম্‌স। ১৯১৬ - আলেক্সান্দ্র মিখাইলোভিচ প্রখরভ, তিনি ছিলেন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী অস্ট্রেলিয়ান বংশোদ্ভূত রাশিয়ান পদার্থবিদ। ১৯২৭ - থিওডর মেইম্যান, তিনি ছিলেন লেজার রশ্মির উদ্ভাবক মার্কিন বিজ্ঞানী। ১৯২৯ - ডেভিড কেলি, তিনি ছিলেন আইরিশ অভিনেতা। ১৯৩৩ - সুভাষ চৌধুরী বিশিষ্ট রবীন্দ্র সংগীত শিক্ষক গবেষক  ও সমালোচক । (মৃত্যু  ০৮/০৬/২০১২) ১৯৩৬ - বাংলাদেশের প্রখ্যাত কবি ও সাহিত্যিক আল মাহমুদ। ১৯৪৬ - বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন গেরিলা যোদ্ধা মাগফার আহমেদ চৌধুরী আজাদ ১৯৫৬ - রবিন রেনুচি, তিনি ফরাসি অভিনেতা ও পরিচালক। ১৯৬৩ - লিসা রিনা, তিনি আমেরিকান অভিনেত্রী। ১৯৬৬ - নাদিম আসলাম, তিনি পাকিস্তানের ইংরেজ লেখক। ১৯৬৭ - ঝুম্পা লাহিড়ী, পুলিৎজার পুরস্কার বিজয়ী ভারতীয় বাঙালি বংশোদ্ভূত লেখিকা। ১৯৭২ - মাইকেল রসেনবাউম, তিনি আমেরিকান অভিনেতা, পরিচালক ও প্রযোজক। ১৯৭৫ - লিল কিম, তিনি আমেরিকান র্যা পার ও অভিনেত্রী। ১৯৮১ - বাংলাদেশি চলচ্চিত্র অভিনেত্রী পূর্ণিমা। ১৯৮৬ - ইয়য়ান গউরকুফ্, তিনি ফরাসি ফুটবল। মৃত্যু ১৭৬৭ - জন কুইন্সি অ্যাডামস, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ষষ্ঠ রাষ্ট্রপতি। ১৯০৫ - মোহাম্মদ আবদুহ, মিশরীয় আইনজ্ঞ ও পণ্ডিত। ১৯৩৭ - জর্জ গেরশ্বিন, মার্কিন পিয়ানোবাদক ও সুরকার। ১৯৫৭ - সুলতান মুহাম্মদ শাহ আগা খান, ৩য় আগা খান নামে পরিচিত শিয়া সম্প্রদায়ের ৪৮তম ইমাম। (জ. ১৮৭৭) ১৯৭৪ - পার ফাবিয়ান লাগেরকভিস্ট, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী সুইডিশ লেখক, কবি ও নাট্যকার। ১৯৮৩ - রস ম্যাকডোনাল্ড, মার্কিন বংশোদ্ভূত কানাডীয় লেখক। ১৯৮৫ - বাংলা সাহিত্যের খ্যাতনামা বাঙালি কবি বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়(জ.১৯২০) ১৯৮৯ - লরন্স অলিভিয়ে, ইংরেজ অভিনেতা ও পরিচালক। (জ. ১৯১১) ২০০৩ - ভীষ্ম সাহনী, ভারতীয় লেখক, নাট্যকার ও অভিনেতা। (জ. ১৯১৫) ২০০৫ - ফ্রান্সেস লাংফরড, মার্কিন অভিনেত্রী ও গায়িকা। ২০১৩ - এগবেরট ব্রিস্কেরন, জার্মান গণিতবিদ। ২০২০ - এবিএম হোসেন, বাংলাদেশি ইতিহাসবিদ ও ইসলামি শিল্পকলা বিশেষজ্ঞ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ইমেরিটাস অধ্যাপক। (জ. ১৯৩৪) ছুটি ও অন্যান্য বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস। বহিঃসংযোগ বিষয়শ্রেণী:গ্রেগরীয় পঞ্জিকার দিন বিষয়শ্রেণী:জুলাই
১১ জুলাই
ঘটনাবলী ১৬৫৮ - সালের এই দিনে মোগল সম্রাট আওরঙ্গজেব দিল্লীর সিংহাসনে আরোহণ করেন। ১৭১৩ - সালের এই দিনে রাশিয়ার জার পিটার দ্য গ্রেটের ভবিষ্যত পরিকল্পনা অনুযায়ী পারস্য উপসাগরের পানি সীমা পর্যন্ত নিজেদের সাম্রাজ্য। ক্রমবিস্তারের লক্ষ্যে জর্জিয়াকে ইরান থেকে পৃথক করার প্রথম পদক্ষেপ নিয়েছিল। ১৭৯৮ - সালের এই দিনে নেপোলিয়ন বোনাপার্ট মিসরের যুদ্ধে জয়লাভ করেন । ১৮৩১ - সালের এই দিনে নেদারল্যান্ডের অন্তর্গত বেলজিয়াম স্বাধীনতা লাভ করে। ১৮৬৬ - লন্ডনে কলেরায় শতাধিক লোকের মৃত্যু হয় । ১৮৮৩ - সালের এই দিনে ভারতের প্রথম রঙ্গমঞ্চ স্টার থিয়েটারের উদ্বোধন। ১৮৮৪ - সালের এই দিনে লর্ডসে প্রথম ক্রিকেট টেস্ট ম্যাচ শুরু হয় । ১৮৮৮ - সালের এই দিনে ব্রিটিশ নাগরিক জন বয়েড ডানলপ বায়ুচালিত টায়ার আবিষ্কার করেন। ১৯৫৪ - সালের এই দিনে জেনেভা সম্মেলন শেষে ভিয়েতনাম এবং ফ্রান্সের মধ্যে যুদ্ধ বিরতি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ১৯৫৯ - সালের এই দিনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পারমাণবিক শক্তিচালিত প্রথম বানিজ্যতরী সাগরে ভাসানো হয়। ১৯৬৮ - সালের এই দিনে আসামের করিমগঞ্জে দিব্যেন্দু ও জগন্ময় বাংলা ভাষার মর্যাদা রক্ষায় শহীদ হন। ১৯৬৯ - সালের এই দিনে চাঁদে মানুষের প্রথম পৌঁছানো। ১৯৭৬ - সালের এই দিনে মুক্তিযোদ্ধা কর্নেল আবু তাহেরের ফাঁসি কার্যকর। জন্ম ১৬২০ - জিন পিকার্ড, ফরাসি জোর্তির্বিদ। ১৬৬৪ – ম্যাথু প্রাইয়োর, ইংরেজ কবি ও কূটনীতিক। ১৬৯৩ – টমাস পেলহ্যাম-হোলস, নিউকাসল-আপন-টাইনের ১ম ডিউক, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী। ১৭১০ – পল মোরিং, জার্মান শল্যচিকিৎসক। ১৭৬২ – টিমোথি হাইনম্যান, রাস্তা নির্মাণের পথপ্রদর্শক। ১৮১৬ - পল রয়টার, জার্মান বংশোদ্ভূত ইংরেজ উদ্যোগপতি ও রয়টার সংবাদসংস্থার প্রতিষ্ঠাতা। (মৃ.২৫/০২/১৮৯৯) ১৮৬৩ - সি. অব্রে স্মিথ, বিখ্যাত ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা ছিলেন। (মৃ. ১৯৪৮) ১৮৯৩ - হান্স ফালাডা, তিনি ছিলেন জার্মান লেখক। ১৮৯৯ - আর্নেস্ট হেমিংওয়ে, মার্কিন উপন্যাসিক, ছোটগল্প রচয়িতা এবং সাংবাদিক। (মৃ.০২/০৭/১৯৬১) ১৯১১ - মার্শাল ম্যাকলুহান, কানাডিয়ান লেখক ও তাত্ত্বিক। (মৃ. ১৯৮০) ১৯১১ - উমাশঙ্কর যোশী, ভারতীয় বিখ্যাত বিদ্বজ্জন, কবি এবং ঔপন্যাসিক। (মৃ. ১৯৮৮) ১৯১৬ - পল রয়টার, তিনি ছিলেন জার্মান বংশোদ্ভূত ইংরেজ সাংবাদিক ও রয়টার্সের প্রতিষ্ঠিাতা। ১৯২৩ - রুডলফ মার্কাস, কানাডীয় বংশোদ্ভূত আমেরিকান রসায়নবিদ। ১৯৩০ - আনন্দ বক্সী, ভারতীয় কবি ও গীতিকার। (মৃ.৩০/০৩/২০০২) ১৯৩৪ - চান্দু বোর্দে, প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার। ১৯৪৪ - জন আটা মিলস, তিনি ছিলেন ঘানার আইনজীবী, রাজনীতিবিদ, ঘানার ৩য় প্রেসিডেন্ট। ১৯৪৫ - জিওফ ডাইমক, সাবেক অস্ট্রেলীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা। ১৯৪৫ - ব্যারি রিচার্ডস, সাবেক ও বিখ্যাত দক্ষিণ আফ্রিকান আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা। ১৯৪৭ - চেতন চৌহান, সাবেক ভারতীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। ১৯৪৮ - বেপে গ্রিলো, তিনি ইতালীয় কৌতুকাভিনেতা, অভিনেতা ও একটিভিস্ট। ১৯৫১ - রবিন উইলিয়ামস, আমেরিকান অভিনেতা, গায়ক এবং প্রযোজক। (মৃ. ২০১৪) ১৯৫৭ - স্টিফান লোফভেন, তিনি সুইডিশ ইউনিয়ন নেতা ও রাজনীতিবিদ ও ৩৩ তম প্রধানমন্ত্রী। ১৯৬০ - অমর সিং চমকিলা, ভারতীয় গায়ক এবং গীতিকার। (মৃ. ১৯৮৮) ১৯৭১ - শার্লত গ্যাঁসবুর, ব্রিটিশ-ফরাসি অভিনেত্রী ও গায়িকা। ১৯৭৫ - রবীন্দ্র পুষ্পকুমারা, শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটার। ১৯৮৯ - জুনো টেম্পল, ইংরেজ অভিনেত্রী। ১৯৯০ - জেসন রয়, ইংলিশ ক্রিকেটার। মৃত্যু ১০০৫ - ইবনে সাম্হ, তিনি ছিলেন স্পেনের বিখ্যাত মুসলিম গণিতবিদ, জ্যোতির্বিজ্ঞানী এবং চিকিৎসক। ১৭৯৬ - রবার্ট বার্নস, তিনি ছিলেন স্কটিশ কবি ও গীতিকার। ১৯০৬ - উমেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় ভারতীয় ব্যারিস্টার এবং ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রথম সভাপতি।(জ.২৯/১২/১৮৪৪) ১৯৩৫ - বাঙালি সঙ্গীতজ্ঞ দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর(জ.১৬/১২/১৮৮২) ১৯৪৩ - চার্লস উইলিয়াম প্যাডক, তিনি ছিলেন আমেরিকান দৌড়বিদ। ১৯৪৪ - ক্লজ ফন স্টফেনবার্গ, জার্মান সামরিক কর্মকর্তা ও ক্যাথলিক অভিজাত সম্প্রদায়ভূক্ত ব্যক্তি ছিলেন। (জ. ১৯০৭) ১৯৪৬ - গোয়ালবার্তো ভিলারয়ল, তিনি ছিলেন বলিভিয়ার প্রেসিডেন্ট। ১৯৫০ - জন সি. উডস, নুরেমবার্গ বিচারের মৃত্যুদন্ড কার্যকরকারী আমেরিকান জল্লাদ। ১৯৫১ - মহাকবি কায়কোবাদ নামে সুপরিচিত কাজেম আলী কোরেশি।(জ.২৫/০২/১৮৫৭) ১৯৬৭ - আলবার্ট লুটুলি, তিনি ছিলেন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী দক্ষিণ আফ্রিকান শিক্ষক ও রাজনীতিবিদ। ১৯৭২ - জিগমে দর্জি ওয়াংচুক, ভূটানের তৃতীয় ড্রূক গ্যালাপ (রাজা) ছিলেন। (জ. ১৯২৮) ১৯৭২ - র‌্যালফ ক্রেগ, তিনি ছিলেন আমেরিকান অ্যাথলেট। ১৯৭৬ - আবু তাহের, বীর উত্তম খেতাবপ্রাপ্ত বাংলাদেশী মুক্তিযোদ্ধা, সেক্টর কমান্ডার। ১৯৯৮ - অ্যালান শেপার্ড, মার্কিন নৌ বৈমানিক ও নাসার নভোচারী। (জ. ১৯২৩) ২০০৪ - এডওয়ার্ড বি লুইস, মার্কিন জিনবিজ্ঞানী। (জ. ১৯১৮) ২০১২ - ডন উইলসন, ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন। (জ. ১৯৩৭) ২০১৫ - ই. এল. ডোক্টোরও, তিনি ছিলেন আমেরিকান ঔপন্যাসিক, গল্পকার ও নাট্যকার। ছুটি ও অন্যান্য তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ বিষয়শ্রেণী:গ্রেগরীয় পঞ্জিকার দিন বিষয়শ্রেণী:জুলাই বিষয়শ্রেণী:অসম্পূর্ণ দিনতারিখ
২১ জুলাই
গীত শেঠি (জন্ম এপ্রিল ১৭, ১৯৬১, নতুন দিল্লী ) ভারতীয় বিলিয়ার্ড তারকা । বি কে স্কুল অব ম্যানেজমেন্ট থেকে এম বি এ পাশ করেন । গত শতাব্দীর নয়ের দশকের অনেকটা সময় তিনি বিশ্ববিলিয়ার্ড শাসন করেছেন। এর সূচনা ১৯৮৫ থেকে ১৯৮৭ লাগাতার একটানা বিশ্ব অ্যামেচার বিলিয়ার্ড প্রতিযোগিতায় খেতাব জয়। ১৯৯২ সালে বিশ্ব পেশাদার বিলিয়ার্ড লড়াইতে তিনি নতুন আন্তর্জাতিক রেকর্ড কায়েম করেন । এই বছর বাদেও বিলিয়ার্ড জগতের এই সর্বোচ্চ খেতাব তিনি ১৯৯৩, ১৯৯৫, ১৯৯৮ আর ২০০১ সালে নিজের ঝুলিতে ভরেছেন। বর্তমানে তিনি আমেদাবাদ শহরে থাকেন । গোল্ডকয়েস্ট নামে একটি ক্রীড়াপ্রতিভা বিকাশকারী সংস্থার সাথেও তিনি যুক্ত। ভারতের অন্যতম অনন্য ক্রীড়াব্যক্তিত্ব হিসাবে তাকে প্রদান করা হয় দেশের সর্বসেরা ক্রীড়া সম্মান রাজীব গান্ধী খেল রত্ন ( ১৯৯২-১৯৯৩ বর্ষ )। তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:১৯৬১-এ জন্ম বিষয়শ্রেণী:ভারতীয় ক্রীড়াবিদ বিষয়শ্রেণী:রাজীব গান্ধী খেলরত্ন প্রাপক
গীত শেঠি
টমাস শেলিং (১৪ এপ্রিল, ১৯২১ - ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৬) মার্কিন অর্থনীতিবিদ এবং ইউনিভার্সিটি অফ মেরিল্যান্ডের অধ্যাপক। তিনি ২০০৫ সালে রবার্ট আউমানের সাথে অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। শেলিং অর্থনীতিতে ১৯৪৪ সালে ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া, বার্কলে থেকে ব্যাচেলর এবং ১৯৫১ সালে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পি,এইচ,ডি, ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৬০ সালে প্রকাশিত তার The Strategy of Conflict পশ্চিমা বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী বই গুলোর একটি বলে বিবেচিত। বহিঃসংযোগ নোবেল পুরস্কার ঘোষণা নোবেল পুরস্কার ভাষণ IDEAS/RePEc বিষয়শ্রেণী:মার্কিন অর্থনীতিবিদ বিষয়শ্রেণী:১৯২১-এ জন্ম বিষয়শ্রেণী:২০১৬-এ মৃত্যু বিষয়শ্রেণী:নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ বিষয়শ্রেণী:ইউনিভার্সিটি অব ম্যারিল্যান্ড, কলেজ পার্কের শিক্ষক
টমাস শেলিং
ঘটনাবলী ১৭৭৪ - যোশেফ প্রিস্টলি অক্সিজেন আবিষ্কার করেন। ১৯২০ - ইস্টবেঙ্গল ফুটবল ক্লাব ভারতের পেশাদার ফুটবল ক্লাব কলকাতায় প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৭২ - বাংলাদেশকে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয় পেরু। জন্ম ১৭৪৪ - জঁ-বাতিস্ত লামার্ক, ফরাসি সৈনিক, প্রকৃতিবিদ ও শিক্ষাবিদ। (মৃ. ১৮২৯) ১৮৬১ - স্যামি জোন্স, অস্ট্রেলীয় ক্রিকেট খেলোয়াড়। (মৃ. ১৯৫১) ১৮৮১ - অর্ধেন্দুকুমার গঙ্গোপাধ্যায়, বাঙালি শিল্প সমালোচক ও অধ্যাপক। (মৃ. ১৯৭৪) ১৯১৫ - মোমতাজ আলী খান, বাংলাদেশি লোকসঙ্গীতশিল্পী, গীতিকার ও সুরকার। (মৃ. ১৯৯০) ১৯১৯ - মির্জা নূরুল হুদা, পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর। (মৃ. ১৯৯১) ১৯১৯ - স্ট্যানলি মিডলটন, ব্রিটিশ ঔপন্যাসিক। (মৃ. ২০০৯) ১৯২২ - এ কে নাজমুল করিম, বাংলাদেশি শিক্ষাবিদ ও সমাজবিজ্ঞানী। (মৃ. ১৯৮২) ১৯২৪ - ফ্রাঙ্ক ওরেল, ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেট খেলোয়াড় ও জামাইকান সিনেটর। (মৃ. ১৯৬৭) ১৯২৮ - এম আর খান, বাংলাদেশি অধ্যাপক, চিকিৎসক ও শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ। (মৃ. ২০১৬) ১৯৩০ - ফজলুল হালিম চৌধুরী - ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এবং বাংলাদেশ বিজ্ঞান একাডেমির ফেলো। (মৃ. ১৯৯৬) ১৯৩৩ - মীনা কুমারী , ভারতীয় চলচ্চিত্র অভিনেত্রী ও কবি ।(মৃ.৩১/০৩/১৯৭২) ১৯৩৫ - জিওফ পুলার, ইংরেজ ক্রিকেট খেলোয়াড়। (মৃ. ২০১৪) ১৯৩৮ - নাজমুল হক, বীর উত্তম খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা ও সেক্টর কমান্ডার। (মৃ. ১৯৭১) ১৯৪০ - মোজাম্মেল হোসেন, বাংলাদেশি চিকিৎসক, রাজনীতিবিদ ও সাবেক সংসদ সদস্য। (মৃ. ২০২০) ১৯৪২ - আব্দুর রাজ্জাক, বাংলাদেশি ছাত্রনেতা, মুক্তিযোদ্ধা ও বাংলাদেশ সরকারের সাবেক মন্ত্রী। (মৃ. ২০১১) ১৯৪৬ - খুরশিদ আলম, বাংলাদেশি সঙ্গীতশিল্পী। ১৯৪৮ - মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ। ১৯৬২ - আবু সাইয়ীদ, বাংলাদেশি চলচ্চিত্র পরিচালক। ১৯৬৩ - দেমিয়ান বিচির, মেক্সিকান-মার্কিন অভিনেতা। ১৯৬৫ - স্যাম মেন্ডেজ, ইংরেজ মঞ্চ ও চলচ্চিত্র পরিচালক। ১৯৯৭ - নিগার সুলতানা, বাংলাদেশি প্রমিলা ক্রিকেট খেলোয়াড়। মৃত্যু ১৮৪৬ - দ্বারকানাথ ঠাকুর, বাংলার নবজাগরণের উল্লেখযোগ্য ব্যক্তি। (জ. ১৭৯৪) ১৯১১ - কনরাড ডুডেন, জার্মান ভাষাতাত্ত্বিক। (জ. ১৮২৯) ১৯২০ - বাল গঙ্গাধর তিলক, ভারতীয় পণ্ডিত ও ভারতীয় জাতীয়তাবাদী নেতা, সমাজ সংস্কারক, আইনজীবী এবং স্বাধীনতা কর্মী। (জ.২৩/০৭১৮৫৬) ১৯৪৪ - ম্যানুয়েল এল. কুয়েজন, ফিলিপিনো রাজনীতিবিদ। (জ. ১৮৭৮) ১৯৮৫ - স্যান্ডি বেল, দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটার। (জ. ১৯০৬) ১৯৮৭ - আবু সাঈদ চৌধুরী, বাংলাদেশের ২য় রাষ্ট্রপতি। (জ. ১৯২১) ১৯৯৯ - নীরদচন্দ্র চৌধুরী, তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের অবিভক্ত বাংলার খ্যাতনামা বাঙালি লেখক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব। (জ.২৩/১১/১৮৯৭) ২০০৯ - কোরাজন অ্যাকুইনো, ফিলিপিনো রাজনীতিবিদ। (জ. ১৯৩৩) ২০১৪ - এল. কে. সিদ্দিকী, বাংলাদেশের ৭ম ডেপুটি স্পিকার। (জ. ১৯৩৯) ছুটি ও অন্যান্য বহিঃসংযোগ বিষয়শ্রেণী:গ্রেগরীয় পঞ্জিকার দিন বিষয়শ্রেণী:আগস্ট
১ আগস্ট
ঘটনাবলী ১৫৯৮ - ফরাসী সম্রাট চতুর্থ হেনরি এক ঐতিহাসিক নির্দেশ জারি করেন ৷ ১৬৪৫ - সুইডেন ও ডেনমার্ক শান্তিচুক্তি করে । ১৭৪০ - রটারড্যামে অনশন ধর্মঘট শুরু হয় । ১৭৮৪ - ইংল্যান্ডের পার্লামেন্টে ভারত আইন গৃহীত হয় । ১৭৮৪ - ভারতে প্রশাসনিক সংস্কার প্রস্তাব সম্বলিত ইস্ট ইন্ডিয়া বিল ব্রিটিশ পার্লামেন্টে পাস। ১৭৯২ - ফ্রান্সের বিপ্লবীরা রাজপরিবারের লোকদের বন্দি করে । ১৮৬৮ - ১৫ আগস্ট পর্যন্ত বেশ কয়েকটি ভূমিকম্পে পেরু ও ইকুয়েডরে ৪০ হাজার লোক নিহত হয়। ১৮৮৯ - উইলিয়াম গ্রে কয়েন টেলিফোন প্যাটেন্ট করেন । ১৯২৩ - মোস্তাফা কামার পাশা তুরস্কের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। ১৯৬০ - মধ্য আফ্রিকা ফরাসী উপনিবেশ থেকে মুক্ত হয়ে স্বাধীনতা লাভ করে৷ ১৯৬১ - পূর্ব জার্মানি মধ্যরাতে বার্লিন প্রাচীর নির্মাণ শুরু করে। ১৯৬৪ - ব্রিটেনে সর্বশেষ ফাঁসির মাধ্যমে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়। ১৯৭২ - দক্ষিণ ভিয়েতনাম থেকে সর্বশেষ মার্কিন সৈন্যদের প্রত্যাহার। ২০০৮ - গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে মহিলাদের ২০০ মিটার ফ্রিস্টাইল সাঁতার প্রতিযোগিতার ফাইনালে ইতালির ফেডেরিকা পেলেগ্রিনি অলিম্পিক তথা বিশ্বরেকর্ড সৃষ্টি করেন ১:৫৪.৮২ সময়ে। ২০১১ - সড়ক দুর্ঘটনায় চলচ্চিত্র নির্মাতা তারেক মাসুদ, সাংবাদিক মিশুক মুনীরসহ পাঁচ জনের মৃত্যু। জন্ম ১৮১৪ - অন্দের্শ ইয়োনাস অংস্ট্রেম, সুইডিশ পদার্থবিদ ও জ্যোতির্বিজ্ঞানী। (মৃ. ১৮৭৪) ১৮১৯ - জর্জ গ্যাব্রিয়েল স্টোকস, ব্রিটিশ পদার্থবিজ্ঞানী এবং গণিতজ্ঞ। (মৃ. ১৯০৩) ১৮৪৮ - রমেশচন্দ্র দত্ত বাঙালি সাহিত্যিক, ঐতিহাসিক ও সিভিলিয়ান। (মৃ.৩০/১১/১৯০৯) ১৮৮৪ - হ্যারি ডিন, ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন। (মৃ. ১৯৫৭) ১৮৬৭ - শব্দকোষপ্রণেতা উইলিয়াম আলেকজান্ডার ক্রেইগির জন্ম। ১৮৮৮ - জন বেয়ার্ড, টেলিভিশনের আবিস্কারক। (মৃ.১৪/০৬/১৯৪৬) ১৮৯৯ - স্যার আলফ্রেড যোসেফ হিচকক, ইংরেজ চলচ্চিত্র নির্দেশক ও প্রযোজক ছিলেন। (মৃ.২৯/০৪/১৯৮০) ১৯০২ - জার্মান প্রকৌশলী ফেলিক্স ওয়াঙ্কেলের জন্ম। ১৯১১ -  ড.ফুলরেণু গুহ, বাঙালি সমাজসেবিকা ও রাজনীতিবিদ। (মৃ.২৮/০৭/২০০৬) ১৯১২ - নোবেলজয়ী [১৯৬৯] ইতালীয় মার্কিন জীববিজ্ঞানী সালভাদর লুরিয়ার জন্ম। ১৯১৮ - ফ্রেডরিক স্যাঙ্গার, ইংরেজ প্রাণরসায়নবিদ। (মৃ. ২০১৩) ১৯২০ - নেভিল ব্র্যান্ড, আমেরিকান অভিনেতা। (মৃ. ১৯৯২) ১৯২৬ - ফিদেল ক্যাস্ট্রো, কিউবার সাবেক প্রেসিডেন্ট। (মৃ.২৫/১১/২০১৬) ১৯৪৫ - রবিন জ্যাকম্যান, ব্রিটিশ ভারতের শিমলায় জন্মগ্রহণকারী ইংল্যান্ডের সাবেক আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। ১৯৫৫ - পল গ্রিনগ্রাস, ইংরেজ চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক, চিত্রনাট্যকার ও সাবেক সাংবাদিক। ১৯৫৮ - র‌্যান্ডি শুঘার্ট, মার্কিন সেনাবাহিনীর বিশেষ অভিযান দল ১ম স্পেশাল ফোর্সেস অপারেশনাল ডিটাচমেন্ট-ডেল্টার (1SFOD-D) একজন সদস্য। (মৃ. ১৯৯৩) ১৯৬১ - কোজি কোন্দো, জাপানি সঙ্গীত রচয়িতা, পিয়ানোবাদক, এবং সঙ্গীত পরিচালক। ১৯৬১ - নীল মল্যান্ডার, সাবেক ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। ১৯৬৩ - শ্রীদেবী, ভারতীয় অভিনেত্রী। (মৃ.২৪/০২/২০১৮) ১৯৭৫ - শোয়েব আখতার, সাবেক পাকিস্তানি ডান হাতি ফাস্ট বোলার। ১৯৮২ - সেবাস্টিয়্যান স্ট্যান, রোমানিয়ন মার্কিন অভিনেতা। মৃত্যু ৬০৪ - সুই সম্রাট ওয়েন, চীনের সুই সাম্রাজ্যের (৫৮১ – ৬১৮) প্রতিষ্ঠাতা ও প্রথম সম্রাট। (জ. ৫৪১) ৯০৮ - আল-মুক্তাফি, ১৭শ আব্বাসীয় খলিফা। (জ. ৮৭৭/৮৭৮) ১৭৯৫ - অহল্যাবাঈ হোলকার, ছিলেন ভারতের মারাঠা মালওয়া রাজ্যের হোলকর রাণী। (জ. ১৭২৫) ১৮৬৩ - ওজেন দ্যলাক্রোয়া, উনিশ শতকের প্রখ্যাত ফরাসি চিত্রকর। (জ. ১৭৯৮) ১৮৬৫ - ইগনাৎস জেমেলভাইস, হাঙ্গেরীয় চিকিৎসক ও হাত ধোয়া ব্যবস্থার প্রবর্তক। (জ. ১৮১৮) ১৯১০ - ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেল, আধুনিক নার্সিং সেবার অগ্রদূত, লেখক ও পরিসংখ্যানবিদ। (জ.১২/০৫/১৮২০) ১৯১৩ - জার্মান সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও আন্তর্জাতিক শ্রমিক আন্দোলনের বিশিষ্ট নেতা আগস্ট বেবেলের মৃত্যু। ১৯১৭ - এডুয়ার্ড বুখনার, জার্মান রসায়নবিদ। (জ. ১৮৬০) ১৯৩২ - কৃষ্ণকমল ভট্টাচার্য বাঙালি পণ্ডিত, সাহিত্যিক ও শিক্ষাবিদ। (জ.১৮৪০) ১৯৩৬ - মাদাম কামা, ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামী ভারতের বিপ্লববাদের জননী হিসাবে পরিচিতা। (জ.২৪/০৯/১৮৬১) ১৯৪৬ - হারবার্ট জর্জ ওয়েলস, একজন ইংরেজ লেখক। (জ.২১/০৯/১৮৬৬) ১৯৬৩ - শিশির কুমার মিত্র, ভারতীয় বাঙালি পদার্থবিজ্ঞানী। (জ.২৪/১০/১৮৯০) ১৯৬৫ - হায়াতো ইকদা, জাপানের আইনজীবী এবং রাজনীতিবিদ, জাপানের 58 তম প্রধানমন্ত্রী (জ. ১৮৯৯) ১৯৭৭ - নাট্যসম্রাজ্ঞী মলিনা দেবীর মৃত্যু।(জ.১৯১৪) ১৯৮৪ - তিগ্রেন পেত্রোসিয়ান, সোভিয়েত-আর্মেনীয় গ্র্যান্ডমাস্টার। (জ. ১৯২৯) ১৯৯৬ - অ্যান্টোনিও ডি স্পিনোলা, পর্তুগিজ সামরিক কর্মকর্তা, লেখক এবং রক্ষণশীল রাজনীতিবিদ। (জ. ১৯১০) ১৯৯৮ - এডওয়ার্ড লিওনার্ড গিঞ্জটন, একজন ইউক্রেনীয়-মার্কিন পদার্থবিজ্ঞানী। (জ. ১৯১৫) ১৯৯৯ - হাইমে গারসোন, কলম্বীয় সাংবাদিক, কমেডিয়ান, আইনজীবী, শান্তিবাদী ও রাজনৈতিক বিদ্রুপাত্মক ছিলেন। (জ. ১৯৬০) ২০০০ - নাজিয়া হাসান, পাকিস্তানি গায়ক ও গীতিকার। (জ. ১৯৬৫) ২০১১ - তারেক মাসুদ, বাংলাদেশ বিশিষ্ট চলচ্চিত্র পরিচালক ও গীতিকার। ২০১১ - মিশুক মুনীর, সম্প্রচার সাংবাদিকতার রূপকার, চিত্রগ্রাহক ও সাংবাদিকতা ব্যক্তিত্ব। ২০১৮ - সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়, ভারতীয় বাঙালি রাজনীতিবিদ ও প্রাক্তন লোকসভার অধ্যক্ষ। (জ.২৫/০৭/১৯২৯) ছুটি ও অন্যান্য বিশ্ব বা-হাতি দিবস৷ বহিঃসংযোগ বিষয়শ্রেণী:গ্রেগরীয় পঞ্জিকার দিন বিষয়শ্রেণী:আগস্ট
১৩ আগস্ট
ঘটনাবলী ১৬০৮ - প্রথম সরকারিভাবে ইংলিশ প্রতিনিধি ভারতের সুরাতে আসেন। ১৬৯০ - ইংরেজ ব্যবসায়ী জব চার্নক সদলে সুতানুটিতে ইংল্যান্ডের জাতীয় পতাকা ওড়ান। দিনটিকে কলকাতা নগরীর পত্তন দিবস হিসেবে ধরা হয়। ১৮১৪ - ব্রিটিশ সেনাদল ওয়াশিংটন ডিসি অধিকার করে এবং হোয়াইট হাউস জ্বালিয়ে দেয়। ১৮১৫ - নেদারল্যান্ডসের আধুনিক সংবিধান এই দিনে গৃহীত হয়। ১৮২১ - মেক্সিকো স্পেনের উপনিবেশ থেকে মুক্ত হয়ে স্বাধীনতা লাভ করে । ১৮৭৫ - ক্যাপ্টেন ম্যাথুওয়েব প্রথম ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দেন সাঁতার কেটে। ১৯০২ - জোয়ান অব আর্কের মূর্তি উন্মোচন করা হয় সেইন্ট পিয়েরে-লে-তে। ১৯১৩ - ফ্রান্স ও সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যে এই দিনে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় পরস্পরকে আক্রমণ না করার। ১৯১৪ - প্রথম বিশ্বযুদ্ধে জার্মান বাহিনী নামুর দখল করে। ১৯২৯ - বায়তুল মোকাদ্দাসে নুদবা প্রাচীর আন্দোলন শুরু হয় । ১৯৪৪ - জার্মান থেকে প্যারিস মুক্ত। ১৯৪৯ - উত্তর আটলান্টিক চুক্তি সংস্থা (ন্যাটো) গঠিত হয়। ১৯৬৬ - ভারতীয় সাঁতারু মিহির সেন জিব্রাল্টার প্রণালী অতিক্রম করেন। ১৯৭২ - বাংলাদেশকে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয় পানামা ও উরুগুয়ে। ১৯৭৪ - ফখরুদ্দিন আলী আহমেদ ভারতের পঞ্চম রাষ্ট্রপতি হন। ১৯৮৮- সাংবাদিক, সাহিত্যিক আবু জাফর শামসুদ্দীন মৃত্যুবরণ করেন। ১৯৮৯ - ৪৫ বছরের কমিউনিস্ট শাসনের পর পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হলেন তাদেউজ মাজোউইকি। ১৯৯১ - তুর্ক মেনিয়ার সার্বভৌমত্ব ঘোষণা। ১৯৯১ - পূর্ব ইউরোপের দেশ ইউক্রেন সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে আলাদা হয়ে স্বাধীনতা লাভ করে। জন্ম ১৮০৮ - জয়কৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় বাঙালি সমাজসেবী ও শিক্ষাবিদ।(মূ.১৮৮৮) ১৮৫১ - টম কেন্ডল, অস্টেলীয় ক্রিকেটার। (মৃ. ১৯২৪) ১৮৯০ - আর্জেন্টিনীয় সাহিত্যিক হোর্হে লুই বোর্হেস। ১৮৯৩ - কৃষ্ণচন্দ্র দে বাংলাসঙ্গীতের আদি ও প্রবাদ পুরুষ, কিংবদন্তী কণ্ঠশিল্পী।(মৃ.২৮/১১/১৯৬২) ১৮৯৮ - অ্যালবার্ট ক্লুঁদে নোবেলবিজয়ী বেলজিয়ান-আমেরিকান চিকিৎসক ও কোষ জীববিজ্ঞানী।(মৃ.২২/০৫/১৯৮৩) ১৮৯৯ - হোর্হে লুইস বোর্হেস, আর্জেন্টিনীয় সাহিত্যিক। (মৃ. ১৯৮৬) ১৯১১ - বীণা দাস ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী বিপ্লবী ও অগ্নিকন্যা।(মৃ.২৬/১২/১৯৮৬) ১৯২৮ - টমি ডোচার্টি, স্কটিশ ফুটবলার ও ফুটবল ম্যানেজার। ১৯২৯ - ইয়াসির আরাফাত, ফিলিস্তিনী নেতা ও নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী। (মৃ.১১/১১/২০০৪) ১৯৪৭ - অ্যান আর্চার, মার্কিন অভিনেত্রী। ১৯৫৯ - আদ্রিয়ান কুইপার, দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটার। ১৯৬৫ - মার্লি ম্যাটলিন, মার্কিন অভিনেত্রী, লেখিকা ও সমাজকর্মী। ১৯৯১ - পুনম যাদব, ভারতীয় প্রমীলা ক্রিকেটার। মৃত্যু ১৯২৭ - মিশরের জাতীয় নেতা সাদ জগলুল পাশা। ১৯৫০ - আর্তুরো আলেস্‌সান্দ্রি, চিলির রাষ্ট্রপতি। (জ. ১৮৬৮) ১৯৫৪ - ব্রাজিলিয়ান স্বৈরশাসক গেতুলিও বার্গাস। ১৯৫৬ - কেনজি মিজোগুচি, জাপানি চলচ্চিত্র পরিচালক ও চিত্রনাট্যকার। (জ. ১৮৯৮) ১৯৬৮ - সিরিল ভিনসেন্ট, দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটার। (জ. ১৯০২) ১৯৮৮ - লিওনার্ড ফ্রে, মার্কিন অভিনেতা। (জ. ১৯৩৮) ২০০৪ - আইভি রহমান, বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ ও সমাজকর্মী।(জ. ১৯৪৪) ২০১৩ - নিউটন ডি সর্দি, ব্রাজিলীয় ফুটবলার। (জ. ১৯৩১) ২০১৪ - রিচার্ড অ্যাটনবারা ইংরেজ চলচ্চিত্র অভিনেতা, পরিচালক, প্রযোজক।(জ.২৯/০৯/১৯২৩) ছুটি ও অন্যান্য বহিঃসংযোগ বিষয়শ্রেণী:গ্রেগরীয় পঞ্জিকার দিন বিষয়শ্রেণী:আগস্ট বিষয়শ্রেণী:অসম্পূর্ণ দিনতারিখ
২৪ আগস্ট
অশ্বত্থ, অশথ বা পিপল গাছের বৈজ্ঞানিক নাম Ficus religiosa যাকে ইংরেজিতে 'sacred fig' বলা হয়। এটি এক প্রকার বট বা ডুমুর জাতীয় বৃক্ষ যার আদি নিবাস স্থানীয় ভারতীয় উপমহাদেশ এবং ইন্দোচীন। এছাড়া বাংলাদেশ, নেপাল, মায়ানমার, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, দক্ষিণ পশ্চিম চীন প্রভৃতি দেশেও দেখতে পাওয়া যায়। এটি Moraceae পরিবারভুক্ত সপুষ্পক উদ্ভিদ। বর্ণনা অশ্বত্থ গাছ ৩০ মিটার লম্বা হতে পারে। এর কান্ডের বেড় ৩ মিটার পর্যন্ত হতে পারে। এর ফুলগুলো ফলের ভেতরে লুকায়িত থাকে। এর পাতা পান পাতার আকৃতির, ডগায় লেজ থাকে। পাতা ১০-১৭ সেমি লম্বা এবং ৮-১২ সেমি চওড়া। শীতকালে এর পাতা ঝরে যায়, বসন্তে তামাটে রঙের কচি পাতা গজায়। পিপল ফল ডুমুরের মতই তবে পাকা ফল বেগুনি রঙের; কাচা ফল সবুজ; ফলের আকার ১-১.৫ সেমি। এই গাছতলায় অল্প বাতাসেও ঝমঝম আওয়াজ শোনা যায়। পাতার লেজের সাথে পাতার ফলকের আঘাতেই এমন শব্দ হয়। অশ্বত্থে ঝুরিমূল থাকে না। অশ্বত্থ গাছের বনসাই বেশ জনপ্রিয়। অশ্বত্থ একটি দীর্ঘজীবী গাছ যার গড় আয়ু ৯০০-১৫০০ বছর। কয়েকটি স্থানীয় আবাসস্থলে এটি ৩০০০ বছরের বেশি সময় ধরে বসবাস করছে বলে জানা গেছে। এছাড়াও ২০০০ বছরের পুরোনো কিছু গাছের বর্ণনা পাওয়া গেছে, যেমন শ্রীলঙ্কার প্রাচীন শহর অনুরাধাপুরের পিপুল গাছ জয়া শ্রী মহা বোধি যা ২২৫০ বছরেরও বেশি বয়সী বলে মনে করা হয় এবং এটি "বিশ্বের প্রাচীনতম ঐতিহাসিক ধর্মীয় গুরুত্ববহ গাছ"। বিস্তার অশ্বত্থ মূলত এশিয়ার গ্রীষ্মমন্ডলীয় অঞ্চলের অধিবাসী হলেও বর্তমানে এটি সারা বিশ্বে বিস্তার লাভ করছে, চাষ করা হয়েছে এবং কিছু ক্ষেত্রে এটি প্রাকৃতিকভাবে অভিযোজিত হয়ে গিয়েছে। এশিয়া অশ্বত্থ ভারতীয় উপমহাদেশ এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া যেমন বাংলাদেশ, ভুটান, চীন (ইউনান প্রদেশ), ভারত (আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ বাদে), লাওস, নেপাল, পাকিস্তান, থাইল্যান্ড এবং ভিয়েতনাম অঞ্চলের স্থানীয় বৃক্ষ। প্রাথমিকভাবে ২৮৮ খ্রিস্টপূর্বাব্দে শ্রীলঙ্কা এবং পরে ফিলিপাইন ও সিঙ্গাপুরসহ অন্যান্য প্রতিবেশী এশীয় দেশগুলিতে এর সূচনা হয়েছিল। আফ্রিকা আফ্রিকার চাদে অশ্বত্থ একটি নেটিভ প্রজাতি। এছাড়া এটি মিশর, লিবিয়া ও মাদাগাস্কারে চাষ করা হয়। ধর্মীয় গুরুত্ব অশ্বত্থ গাছ হিন্দু, জৈন ও বৌদ্ধ ধর্মে পবিত্র বলে বিবেচিত হয়। বৌদ্ধধর্ম গৌতম বুদ্ধ এক অশ্বত্থ বৃক্ষের নিচে ধ্যান করার সময় বোধি (জ্ঞান) লাভ করেন। এই স্থানটি বর্তমানে ভারতের বিহারে বুদ্ধগয়ায় অবস্থিত। যদিও মূল গাছটি একাধিকবার ধ্বংস হয়ে গিয়েছে, এবং প্রতিস্থাপিত হয়েছে। মূল গাছের একটি শাখা ২৮৮ খ্রিস্টপূর্বাব্দে শ্রীলঙ্কার অনুরাধাপুরে রোপণ করা হয় এবং এটি জয় শ্রী মহা বোধি নামে পরিচিত। এটি বিশ্বের প্রাচীনতম সপুষ্পক উদ্ভিদ। যেকোনো অশ্বত্থ বৃক্ষকেই বোধিবৃক্ষ বলা যায় না। গৌতম বুদ্ধ যে অশ্বত্থ বৃক্ষটির নিচে বোধিলাভ করেন, সেই বৃক্ষের বংশধরদেরকেই বোধিবৃক্ষ বলে। এর অন্যান্য নামগুলো হলো বোধিবৃক্ষ, বোধিদ্রুম, Bo-Tree, Bo, bawdir, bodhi tree, holy tree ইত্যাদি। সংস্কৃত ভাষায় 'বোধি' শব্দের অর্থ 'জ্ঞান'; এই শব্দটি শ্রীলঙ্কায় বিবর্তিত হয়ে 'বো' শব্দে রূপান্তরিত হয়েছে। হিন্দুধর্ম হিন্দু সাধু-সন্ন্যাসীরা এখনও পবিত্র অশ্বত্থ গাছের নিচে ধ্যান করেন এবং হিন্দু ধর্মাবলম্বীগণ অশ্বত্থ গাছের চারপাশে প্রদক্ষিণ করেন। সাধারনত "বৃক্ষ রাজায় নমঃ" বলতে বলতে গাছের চারপাশে সাত বার প্রদক্ষিণ করা হয়, যার অর্থ "গাছের রাজাকে নমস্কার"। ধারণা করা হয় যে বিশেষ ২৭ টি গাছ, ২৭ টি নক্ষত্রকে প্রতিনিধিত্ব করে। এর মধ্যে অশ্বত্থ গাছ পুষ্যা নক্ষত্রের প্রতিনিধিত্ব করে। ভগবত গীতায়, শ্রীকৃষ্ণ বলছেন, "আমি গাছের মধ্যে পিপুল, ঋষিদের মধ্যে নারদ, গান্ধারদের মধ্যে চিত্ররথ এবং সিদ্ধপুরুষদের মধ্যে ঋষি কপিল।" ব্যবহার ডায়াবেটিস, ডায়রিয়া, মৃগীরোগ, গ্যাস্ট্রিক সমস্যা, প্রদাহজনক রোগ, সংক্রামক এবং যৌন রোগ সহ প্রায় ৫০ ধরনের রোগের জন্য অশ্বত্থ গাছ ব্যবহার করা হয়। বিভিন্ন ভাষায় নাম পিপল গাছ নানান ভাষায় নানান নামে পরিচিত। যেমন- Sanskrit — अश्वत्थः aśvatthaḥ vṛksha, pippala vṛksha (vṛksha means tree) Assamese language - আঁহত, i.e. ãhot Bengali language — অশ্বথ, i.e. ashwath, পিঁপুল, i.e. pipul ,জ্বীর/জীন Tamil — அரச மரம் arasa maram (literally King or King's Tree. Arasu or Arasan is Tamil for King) Telugu — రావి Raavi Kannada — araLi mara ಅರಳಿ ಮರ Konkani — Pimpalla Rook/jhadd Malayalam — അരയാല്‍ Arayal Gujarati — પિપળો (Pipdo) Punjabi — Pippal / پپل Bhojpuri — Pippar Marathi — पिंपळ pimpaL (where L stands for the German ld sound, used in for example Nagold) Mahal — އަޝްވަތި ގަސް (Aśvati gas) Oriya — ଅଶ୍ୱତ୍ଥ (Ashwatth) Pali — assattha; rukkha Nepali (नेपाली) — पीपल Sinhala — ඇසතු esathu Thai — โพธิ์ (Pho) Vietnamese — bồ-đề Urdu — peepal پیپل Cuban Spanish - Alamo Tagalog - Balete ছবির গ্যালারি আরো দেখুন Bodhi tree Shitala Devi Sri Maha Bodhi তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:বৃক্ষ বিষয়শ্রেণী:গাছ বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশের উদ্ভিদ বিষয়শ্রেণী:ফাইকাস বিষয়শ্রেণী:ভারতের উদ্ভিদ বিষয়শ্রেণী:নেপালের উদ্ভিদ
অশ্বত্থ
হাক্‌লবেরি ফিন্‌ মার্ক টোয়েন রচিত কিশোর উপন্যাসের বিখ্যাত চরিত্র। দ্য অ্যাডভেঞ্চারস্‌ অব হাক্‌লবেরি ফিন্ (The Adventures of Huckleberry Finn) ১৮৮৪ সালে প্রকাশিত হয়েছিল। এই উপন্যাস দ্য অ্যাডভেঞ্চারস্‌ অব টম সয়্যার (The Adventures of Tom Sawyer)-এর পরবর্তী পর্ব। এই বইয়ের অন্যতম চরিত্র টম সয়্যার-ও মার্ক টোয়েন এর আর একটি অনবদ্য সৃষ্টি। হাকলবেরি বাউন্ডুলে, ভবঘুরে এবং স্বাধীন। সেজন্যে সে ছেলেদের অত্যন্ত প্রিয় ও অনুকরণীয় পাত্র, একইসাথে তাদের অভিভাবক দের কাছে বিরক্তির পাত্র। এহেন হাকলবেরি কে নিয়ে মার্ক টোয়েনের উপন্যাস টি অতীব জনপ্রিয়তা পায়। কাহিনী হাক্‌লবেরি ফিন্ ডাকাতদের টাকা পেয়ে ধনী হয়ে যায়। কিন্তু সে নিজ পরিবারে ফেরত যেতে চায় না। পোষ্যপুত্র হিসেবে একটি পরিবারে বাস করতে থাকে। কিন্তু ধঁরা-বাঁধা নিয়ম তাকে একেবারেই বিরক্তি ধরিয়ে দেয়। টম ও সে ঠিক করে একটা ডাকাত দল তৈরি করবে। এমন সময় হাকের মদ্যাসক্ত বাবা এসে হাজির হয় এবং হাকের কাছে টাকা দাবি করে। সে হাক্‌কে নিজের কাছে রেখে অত্যাচার করতে থাকলে হাক এক সময় পালিয়ে যায়। শুরু হয় সঙ্গী জিমকে নিয়ে নতুন এক অভিযান যেখানে হাক্‌লবেরি মারাত্মক বিপদ পড়েও শেষ পর্যন্ত রক্ষা পায়। তথ্যসূত্র
হাক্‌লবেরি ফিন্
ঘটনাবলী ১৭৭২ - মর্নিং পোস্ট পত্রিকার প্রথম প্রকাশ। ১৮৮০ – জেমস গার্ফিল্ড যুক্তরাষ্ট্রের ২০তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। ১৮৭৬ - কেশবচন্দ্র সেনের উদ্যোগে ‘ইন্ডিয়ান রিফর্মার অ্যাসোসিয়েশন’ বা ‘ভারত সংস্কার সভা’ স্থাপিত হয়। ১৮৮৯ - উত্তর ডাকোটা ও দক্ষিণ ডাকোটা যুক্তরাষ্ট্রের যথাক্রমে ৩৯ ও ৪০তম রাজ্য হিসেবে যুক্ত হয়। ১৯১৪ - রাশিয়া ওসমানীয় সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। ১৯১৬ - ব্রিটেনের তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস আর্থার বেলফোর ফিলিস্তিনে ইহুদিদের জন্য আবাসভূমি বা রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে ব্রিটেনের সম্মতির কথা ঘোষণা করেন। ১৯২০ - মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্বের প্রথম নিয়মিত বেতার সম্প্রচার শুরু হয়। ১৯৩০ - হাইলে সোলাসি ইথিওপিয়ার সম্রাট হন। ১৯৪৯ - ইন্দোনেশিয়া স্বাধীনতা লাভ করে। এর আগে দেশটি সাড়ে তিনশ বছর ধরে হল্যান্ডের উপনিবেশ ছিল। ১৯৫৭ - সালে সোভিয়েট ইউনিয়ন স্পুটনিক -২ নামে ২য় বারের মত কৃএিম উপগ্রহ মহাকাশে প্রেরণ করে। ১৯৬৩ - সৌদি আরবের রাজা সাউদকে সরিয়ে তার সৎভাই ফয়সাল রাজা হন। জন্ম ০৬৮২ - উমর ইবনে আবদুল আজিজ, আরবের খলিফা। ০৯৭১ - মাহমুদ গজনভি, গজনভি সাম্রাজ্যের শাসক। ১৭৯৫ - জেমস কে. পোক, তিনি ছিলেন আমেরিকান আইনজীবী, রাজনীতিবিদ ও ১১ তম প্রেসিডেন্ট। ১৮১৫ - জর্জ বুল, তিনি ছিলেন ইংরেজ গণিতবিদ ও দার্শনিক। ১৮৩৩ - মহেন্দ্রলাল সরকার, তিনি ছিলেন ভারতীয় চিকিৎসক ও অধ্যাপক।(মৃ.২৩/০২/১৯০৪) ১৮৬৫ - ওয়ারেন জি. হার্ডিং, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ২৯তম রাষ্ট্রপতি। ১৮৭৭ - ভিক্টর ট্রাম্পার, অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার। ১৮৮৬ - বাংলাভাষার প্রথম প্রাণপুরুষ আইনজীবী ও রাজনীতিবিদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ।(মৃ.২৯/০৩/১৯৭১) ১৮৯৮ - জাকির হুসাইন, পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর। ১৯০৯ - অরুণ মিত্র, বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রথিতযশা কবি ও ফরাসি ভাষা ও সাহিত্যের খ্যাতনামা অধ্যাপক ও অনুবাদক।(মৃ.২২/০৮/২০০০) ১৯১১ - অডয়সেয়ান ইয়টিস, তিনি ছিলেন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী গ্রিক কবি। ১৯২৯ - অমর গোপাল বসু, বাঙালি ভারতীয়-আমেরিকান ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার, সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ার, বিশ্বখ্যাত অডিও ইকু্ইপমেন্ট নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোস কর্পোরেশন এর প্রতিষ্ঠাতা। (মৃ.১২/০৭/২০১৩) নোবেল পুরস্কার বিজয়ী কানাডীয়-মার্কিন পদার্থবিদ ও শিক্ষাবিদ রিচার্ড এডওয়ার্ড টেইলর। ১৯৩৫ - শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, ভারতীয় বাঙালি সাহিত্যিক ও গল্পকার। ১৯৫৯ - স্কটিশ অভিনেতা, পরিচালক, চিত্রনাট্যকার পিটার মুলান। ১৯৬৫ - শাহরুখ খান, ভারতীয় অভিনেতা। ১৯৭২ - সামান্থা এমাক অ্যাণ্ড, তিনি ইংরেজ অভিনেত্রী, গায়ক ও পরিচালক। ১৯৭৭ - অস্ট্রেলীয়ার কিংবদন্তী কৃকেটার ভিক্টর ট্রম্পার । ১৯৮২ - চার্লস ইটান্ডজে, তিনি ফরাসি ফুটবলার। ১৯৮৬ - বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ ও বুদ্ধিজীবি ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত । মৃত্যু ১৮১৮ - স্যামুয়েল রোমিলি, বিখ্যাত ব্রিটিশ আইন সংস্কারক। ১৮৪৬ - যিশাইয়র টেগ্নের, তিনি ছিলেন সুইডিশ কবি ও বিশপ। ১৯৫০ - জর্জ বার্নার্ড শ', নোবেলজয়ী আইরিশ নাট্যকার।(জ.২৬/০৭/১৮৫৭) ১৯৬৩ - এনজিও ডিনহ ডিয়েম, তিনি ছিলেন ভিয়েতনামী রাজনীতিবিদ, ১ম রাষ্ট্রপতি। ১৯৬৬ - পিটার জোসেফ উইলিয়াম ডিবাই, তিনি ছিলেন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ডাচ বংশোদ্ভূত আমেরিকান পদার্থবিদ ও রসায়নবিদ। ১৯৭৪ - বাংলাদেশের বিশিষ্ট সাহিত্যিক, সাংবাদিক ও লেখক বরকতউল্লাহ। ১৯৭৫ - পিয়ের পাওলো পাসোলিনি, তিনি ছিলেন ইতালিয়ান অভিনেতা, পরিচালক ও চিত্রনাট্যকার। ১৯৯৬ - ইভা ক্যাসিডি, তিনি ছিলেন আমেরিকান গায়ক ও গিটারিস্ট। ২০০৭ - দক্ষিণ আফ্রিকার অভিনেতা হেনরি কেলে। ২০১২ - সুইডিশ অভিনেতা, প্রযোজক ও চিত্রনাট্যকার হান্স লিন্ডগ্রেন। ২০১৩ - ক্লিফোর্ড নাস, তিনি ছিলেন আমেরিকান লেখক ও অধ্যাপক। ছুটি ও অন্যান্য বিশ্ব নিউমোনিয়া দিবস ৷ জাতীয় স্বেচ্ছায় রক্তদান এবং মরণোত্তর দিবস। (২রা থেকে ৪ঠা নভেম্বর) বহিঃসংযোগ বিষয়শ্রেণী:গ্রেগরীয় পঞ্জিকার দিন বিষয়শ্রেণী:নভেম্বর
২ নভেম্বর
ঘটনাবলী ১৫৩৩ - স্পেনীয়রা দক্ষিণ আমেরিকায় অবস্থিত ইকুয়েডর আবিষ্কার এবং দখল করে নিয়েছিলো। ১৬৬৬ - দুই কুকুরের দেহে প্রথম রক্ত সঞ্চালন করা হয়। ১৬৯৮ - স্পেনের রাজা কার্লোস তাঁর পৌত্র যোসেফ ফার্দিনান্দকে উত্তরাধিকার নির্বাচিত করেন। ১৭৮০ - ব্রিটিশরাজ ‘বেঙ্গল গেজেট’ প্রকাশের ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ করে। ১৮৬৫ - মাইকেল মধুসূদন দত্তের ‘পদ্মাবতী’ নাটক প্রথম অভিনীত হয়। ১৮৯৬ - নায়াগ্রাতে বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু হয়। ১৯০৮ - খ্যাতনামা বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনষ্টাইন প্রথম, আলোক-সংক্রান্ত কোয়ান্টাম তত্ত্ব উপস্থাপন করেছিলেন। ১৯১৮ - চেকেস্লোভাকিয়ায় প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হয়। ১৯২২ - যুক্তরাজ্য থেকে বিবিসি [ব্রিটিশ ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশন] প্রতিষ্ঠিত হয় এবং প্রথম বিবিসি রেডিও প্রচার শুরু হয়। ১৯৬৯ - ব্রিটেনে রঙিন টিভি সম্প্রচার শুরু হয়। ১৯৬৯ - তিন মার্কিন নভোচারী চার্লস কনরাড, গর্ডন কুপার ও অ্যালান বিনা অ্যাপোলো-১২ নভোযানে চড়ে চাঁদে যাত্রা করেন। ১৯৭০ - প্রতিরক্ষা মন্ত্রী হাফেজ আর আসাদ সিরিয়ার ক্ষমতা দখল করেন। ১৯৭৯ - যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাংকগুলোতে জমাকৃত ইরানের ডলার মার্কিন সরকার জব্দ করে। ১৯৮৩ - বাংলাদেশে প্রকাশ্য রাজনীতির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়। ১৯৯৪ - শ্রীমাভো বন্দরনায়েকে শ্রীলংকার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ - বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের বিচার শুরুর প্রশ্নে সংসদে ইনডেমনিটি (বাতিল) বিল পাস করেন। জন্ম ১৬৮৩ - ইতিহাসবিদ রবার্ট জে ফ্রুইন। ১৭১৯ - লেওপল্ড মোজার্ট, তিনি ছিলেন অস্ট্রিয়ান বেহালাবাদক, সুরকার ও পথপ্রদর্শক। ১৭৬৫ - রবার্ট ফুলটন, তিনি ছিলেন আমেরিকান প্রকৌশলী ও স্টিমবোটের উদ্ভাবক। ১৮৪০ - ক্লোদ মনে, ফ্রান্সের এক বিখ্যাত ধারণাবাদী (ইম্প্রেশনিস্ট) চিত্রশিল্পী। ১৮৮৯ - জহরলাল নেহরু,ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের ও স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম প্রধান নেতা এবং স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী।(মৃ.২৭/০৫/১৯৬৪) ১৮৯১ - ফ্রেডরিক ব্যানটিং, কানাডীয় চিকিৎসক, চিকিৎসাবিজ্ঞানী এবং ইনসুলিন এর সহ-আবিষ্কারক।(মৃ.২১/০২/১৯৪১) ১৯০৪ - হ্যারল্ড লারউড, বিখ্যাত ও পেশাদার ইংরেজ ক্রিকেটার। ১৯২২ - বুট্রোস ঘালি, মিশরীয় কূটনীতিবিদ, জাতিসংঘের ৬ষ্ঠ মহাসচিব। ১৯৩৫ - হুসাইন বিন তালাল, জর্ডানের তৃতীয় বাদশাহ। ১৯৩৮ - কারেন আর্মস্ট্রং, ইংরেজ লেখক। ১৯৩৮ - আবু তাহের, বীর উত্তম খেতাবপ্রাপ্ত বাংলাদেশী মুক্তিযোদ্ধা, সেক্টর কমান্ডার। ১৯৫১ - যহাং ইয়িমউ, তিনি চীনা অভিনেতা, পরিচালক, প্রযোজক ও সিনেমাটোগ্রাফার। ১৯৫৪ - কন্ডোলিৎসা রাইস, তিনি আমেরিকার রাজনৈতিক বিজ্ঞানী, শিক্ষাবিদ, রাজনীতিবিদ ও ৬৬ তম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সচিব। ১৯৭১ - অ্যাডাম ক্রেইগ গিলক্রিস্ট, তিনি সাবেক অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট খেলোয়াড়। ১৯৭৫ - লুইজ বম্বনাট গউলারট, তিনি ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার। ১৯৮৫ - থমাস ভের্মালেন, তিনি বেলজিয়ান ফুটবলার। মৃত্যু ০৫৬৫ - প্রথম জাস্টিনিয়ান, তিনি ছিলেন বাইজেন্টাইন সম্রাট। ০৯৬৭ - চীনের জনপ্রিয় সম্রাট সেনাধ্যক্ষ শুংবংশের প্রতিষ্ঠাতা তাই শুংয়ে। ১২৬৩ - আলেকজান্ডার নেভস্কয়, তিনি ছিলেন রাশিয়ান সেন্ট। ১৫২২ - ফ্রান্সের রাজকুমারী অ্যান। ১৭১৬ - গট্‌ফ্রিট লাইব্‌নিৎস, একজন জার্মান দার্শনিক এবং গণিতবিদ ছিলেন। ১৮১৬ - জার্মানীর বিখ্যাত দার্শনিক, গণিতবিদ গোটফ্রেইড উইলহেম লেবনিজ। ১৮২৫ - জাঁ পল, তিনি ছিলেন জার্মান সাংবাদিক ও লেখক। ১৮৩১ - ব্রিটিশের বিরুদ্ধে লড়ে তিতুমীর শহীদ হন। ১৮৩১ - গেয়র্গ ভিলহেল্ম হেগল, জার্মান দার্শনিক ছিলেন। ১৮৩২ - রাস্‌মুস রাস্ক, একজন ডেনীয় ভাষাতাত্ত্বিক ও পণ্ডিত। ১৯১৬ - সাকি, ইংরেজি ভাষার অন্যতম শ্রেষ্ঠ ছোট গল্পকার। ১৯২০ - রাজা সুবোধচন্দ্র বসু মল্লিক ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামী।(জ.০৯/০২/১৮৭৯) ১৯৮০ - ইরানের প্রখ্যাত আলেম, মোফাসসিরে কোরআন, দার্শনিক আয়াতুল্লাহ আল্লামা স্যাইয়েদ মোহাম্মদ হোসেইন তাবাতাবাই। ১৯৮৮ - বাংলাদেশে সমবায় সঞ্চয় ও ঋণদান সমিতি (ক্রেডিট ইউনিয়ন) এর প্রবর্তক ফাদার উয়াং ঢাকায় সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত হন। ১৯৯৬ - ভার্জিনিয়া চেরিল, মার্কিন নির্বাক চলচ্চিত্র অভিনেত্রী। (জ. ১৯০৮) ২০০৪- ওয়াসীমুল বারী রাজীব। যিনি রাজিব নামেই বেশি পরিচিত ছিলেন। তিনি একজন বাংলাদেশী অভিনেতা। ২০০৮ - ক্রিস্টিন হান্টার, তিনি ছিলেন আমেরিকান লেখক। ছুটি ও অন্যান্য শিশু দিবস (ভারত) বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস বিশ্ব হাটা দিবস। বহিঃসংযোগ বিষয়শ্রেণী:গ্রেগরীয় পঞ্জিকার দিন বিষয়শ্রেণী:নভেম্বর
১৪ নভেম্বর
ঘটনাবলী ১৬৩৯ - ডেরিনিয়ার হরফ প্রথমবারের মত শুক্রগ্রহের গতিবিধি লক্ষ্য করেন। ১৬৪২ - আবেল তাসম্যান তাসমানিয়া আবিষ্কার করেন। ১৭১৫ - টেমস নদীর পানি জমে বরফ হয়ে গিয়েছিল। ১৭৫৯ - বিসুভিয়াসে অগ্ন্যুৎপাত শুরু হয়। ১৮০০ - ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের প্রকৃত কর্মযাত্রার সূচনা। ১৮৩১ - বিখ্যাত ব্রিটিশ পদার্থ-বিজ্ঞানী মাইকেল ফ্যারাডে বৈদ্যুতিক আবেশ আবিষ্কার করেন। ১৮৫৯ - চার্লস ডারউইনের অন দ্য অরিজিন অব স্পিসিস বইটি প্রকাশিত হয়। ১৯১৪ - বেনিটো মুসোলিনি ইতালির সোশ্যালিস্ট পার্টি ত্যাগ করেন। ১৯২৩ - বেলজিয়ামে প্রথম বেতার সম্প্রচার শুরু। ১৯৩৩ - বঙ্কিমচন্দ্র সেনের সম্পাদনায় বিখ্যাত সাহিত্য-সাপ্তাহিক ‘দেশ’ প্রথম প্রকাশিত। ১৯৫০ - ইরানের জাতীয় সংসদের জ্বালানী তেল বিষয়ক কমিটি ইরান অয়েল কোম্পানী ও বৃটেনের মধ্যে সম্পূরক চুক্তি নাকচ করে। ১৯৯৫ - দেড় বছরাধিকাল ধরে সংসদ বয়কট আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের পঞ্চম জাতীয় সংসদ ভেঙ্গে দেয়া হয়। ২০০৪ - ইউক্রেনের বিতর্কিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভিক্টর ইয়ানুকোভিচকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। ২০১২ - বাংলাদেশের আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলের নিশ্চিন্তপুর এলাকার তাজরীন পোশাক কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ১১২ শ্রমিকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। আহত হন আরও তিন শতাধিক শ্রমিক। জন্ম ১৬৩২ - হল্যান্ডের বিখ্যাত দার্শনিক ও সমাজ-বিজ্ঞানী বারুখ ডি স্পিনোজা। ১৬৫৫ - সুইডেনের রাজা একাদশ চার্লস। ১৭৮৪ -জ্যাকারি টেইলার, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দ্বাদশ রাষ্ট্রপতি। ১৮৬০ - গণিতজ্ঞ কালীপদ বসু। (মৃ.১১/১৯১৪) ১৮৬৪ - অঁরি দ্য ত্যুল্যুজ্‌-লোত্রেক, উনিশ শতকের প্রখ্যাত ফরাসি চিত্রকর। ১৮৭৬ - জাপানি অণুজীববিদ হিডেও নোগুচি। ১৯০৪ - হাতেম আলী খান, একজন যুক্তফ্রন্ট দলীয় রাজনীতিবিদ ও পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের সাবেক সদস্য। ১৯২৬ - নোবেলজয়ী [১৯৫৭] চীনা-মার্কিন পদার্থবিদ সুং দাও লি। ১৯৩০ - কেন ব্যারিংটন, বিখ্যাত ইংরেজ ক্রিকেটার। ১৯৩১ - রবি ঘোষ, বিখ্যাত ভারতীয় বাঙালি চলচ্চিত্র অভিনেতা। (মৃ.০৪/০২/১৯৯৭) মৃত্যু ১৫০৪ - স্পেনের ক্যাস্টিলের রানী প্রথম ইসাবেলা। ১৫২৪ - বিশ্বখ্যাত নাবিক ভাস্কোদাগামা। ১৭৪১ - সুইডেনের রানি উলরিকা ইলিওনেরা। ১৮৫৮ - ইরানের কাজার রাজার তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মীর্যা বুজুর্গ ফারাহানী নামে খ্যাত মীয্যা ঈসা। ১৮৮৪ - বাংলা নাটকের প্রথম যুগের নাট্যকার হরচন্দ্র ঘোষ।(জ.১৮১৭) ১৯৩৪ - বীরেন্দ্রনাথ শাসমল,ভারতের বাঙালি জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ও রাজনৈতিক নেতা।(জ.২৬/১০/১৮৮১) ১৯৬৩ - লি হার্ভে অসওয়াল্ড, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জন এফ. কেনেডি’র আততায়ী। ১৯৮২ - বারাক ওবামা সিনিয়র। কেনিয়ার অর্থনীতিবিদ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার বাবা। ২০১৭ - সাধক সংগীতশিল্পী ও নন্দিত বংশীবাদক বারী সিদ্দিকী। ছুটি ও অন্যান্য শিক্ষক দিবস, (তুরস্ক) তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ বিষয়শ্রেণী:গ্রেগরীয় পঞ্জিকার দিন বিষয়শ্রেণী:নভেম্বর বিষয়শ্রেণী:অসম্পূর্ণ দিনতারিখ
২৪ নভেম্বর
তাজমহল (, উর্দু: تاج محل) ভারতের উত্তর প্রদেশে আগ্রায় অবস্থিত একটি রাজকীয় সমাধি। মুঘল সম্রাট শাহজাহান তার স্ত্রী আরজুমান্দ বানু বেগম যিনি মুমতাজ মহল নামে পরিচিত, তার স্মৃতির উদ্দেশে এই অপূর্ব সৌধটি নির্মাণ করেন। সৌধটির নির্মাণ শুরু হয়েছিল ১৬৩২ খ্রিষ্টাব্দে যা সম্পূর্ণ হয়েছিল প্রায় ১৬৫৩ খ্রিষ্টাব্দে। তাজমহলকে (কখনও শুধু তাজ নামে ডাকা হয়) মুঘল স্থাপত্যশৈলীর একটি আকর্ষণীয় নিদর্শন হিসেবে মনে করা হয়, যার নির্মাণশৈলীতে পারস্য, তুরস্ক, ভারতীয় এবং ইসলামী স্থাপত্যশিল্পের সম্মিলন ঘটানো হয়েছে। যদিও সাদা মার্বেলের গোম্বুজাকৃতি রাজকীয় সমাধিটিই বেশি সমাদৃত, তাজমহল আসলে সামগ্রিকভাবে একটি জটিল অখণ্ড স্থাপত্য। এটি ১৯৮৩ সালে ইউনেস্কো বিশ্বঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়। বিশ্বের সপ্তম আশ্চর্যের অন্যতম তাজমহল। তখন একে বলা হয়েছিল 'বিশ্ব ঐতিহ্যের সর্বজনীন প্রশংসিত শ্রেষ্ঠকর্ম।' সূচনা ও প্রেরণা তাজমহল বিশ্বের অপূর্ব সুন্দর স্মৃতিসৌধ ও মনোমুগ্ধকর নিদর্শন। ভালোবাসার অবিশ্বাস্য স্মরণীয় ভাস্কর্য। ইসলামিক স্থাপত্যের অপূর্ব নিদর্শন যা শান্তি ও সৌন্দর্যের প্রতীক। thumb|right|140px|শাহজাহান, যিনি তাজমহল নির্মাণ করিয়েছিলেন ১৬৩১ খ্রিষ্টাব্দে শাহজাহান, যিনি মুঘল আমলের সমৃদ্ধশালী সম্রাট ছিলেন, তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী মুমতাজ মহল-এর মৃত্যুতে প্রচণ্ডভাবে শোকাহত হয়ে পড়েন। মুমতাজ মহল তখন তাদের চতুর্দশ কন্যা সন্তান গৌহর বেগমের জন্ম দিতে গিয়ে মৃত্যুবরণ করেছিলেন। তাজমহলের নির্মাণ কাজ মুমতাজের মৃত্যুর পর শুরু হয়। মূল সমাধিটি সম্পূর্ণ হয় ১৬৪৮ খ্রিস্টাব্দে এবং এর চারদিকের ইমারত এবং বাগান আরও পাঁচ বছর পরে তৈরি হয়। ১৬৬৩ খ্রিস্টাব্দে আগ্রা ভ্রমণ করে ফরাসি পর্যটক ফ্রান্সিস বেরনিয়ার (François Bernier) লিখছিলেন: {{cquote|I shall finish this letter with a description of the two wonderful mausoleums which constitute the chief superiority of Agra over Delhi. One was erected by Jehan-guyre [sic] in honor of his father Ekbar; and Chah-Jehan raised the other to the memory of his wife Tage Mehale, that extraordinary and celebrated beauty, of whom her husband was so enamoured it is said that he was constant to her during life, and at her death was so affected as nearly to follow her to the grave.}} বাংলা অনুবাদঃ thumb|right|200px|১৫৬০ খ্রিস্টাব্দে তৈরি হুমায়ূনের মাজার দেখতে প্রায় তাজমহলের মতন প্রভাব তাজমহল তৈরি হয়েছে বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী নকশার উপর, বিশেষ করে পারস্য ও মুঘল স্থাপত্য অনুসারে। নির্দিষ্ট কিছু নকশা তিমুর ও মুঘল ইমারতের মত হুবহু করা হয়েছে। যাদের মধ্যে তিমুরের গুর-ই-আমির, সমরখন্দে মুঘল সাম্রাজ্যের পূর্বসূরি, হুমায়ূনের মাজার, ইমাদ-উদ-দৌলার মাজার (কখনো ডাকা হয় শিশু তাজ নামে), এবং দিল্লীতে শাহজাহানের নিজের তৈরি দিল্লী জামে মসজিদ। তাঁর পৃষ্ঠপোষকতায়, মুঘল ইমারত পরিমার্জনের এক নতুন স্তরে পৌঁছায়। যেখানে পূর্ববর্তী মুঘল ইমারতসমূহ তৈরি হয়েছিল লাল বেলে পাথরে, শাহজাহান চালু করেছিলেন সাদা দামি মার্বেল পাথরের প্রচলন। বাগান thumb|200px|right|তাজমহল তাজমহলের সামনের চত্বরে একটি বড় চারবাগ (মুঘল বাগান পূর্বে চার অংশে বিভক্ত থাকত) করা হয়েছিল। ৩০০ মিটার X ৩০০ মিটার জায়গার বাগানের প্রতি চতুর্থাংশ উঁচু পথ ব্যবহার করে ভাগগুলোকে ১৬টি ফুলের বাগানে ভাগ করা হয়। মাজার অংশ এবং দরজার মাঝামাঝি অংশে এবং বাগানের মধ্যখানে একটি উঁচু মার্বেল পাথরের পানির চৌবাচ্চা বসানো আছে এবং উত্তর-দক্ষিণে একটি সরলরৈখিক চৌবাচ্চা আছে যাতে তাজমহলের প্রতিফলন দেখা যায়। এছাড়া বাগানে আরও বেশ কিছু বৃক্ষশোভিত রাস্তা এবং ঝরনা আছে।. চারবাগ বাগান ভারতে প্রথম করেছিলেন প্রথম মুঘল সম্রাট বাবর, যা পারস্যের বাগানের মতো করে নকশা করা হয়েছিল। চারবাগ মানেই যাতে স্বর্গের বাগানের প্রতিফলন ঘটবে। মুঘল আমলের লেখায় এক ফার্সি মরমিবাদী স্বর্গের বাগানের বর্ণনা দিয়েছিলেন আদর্শ বাগান হিসেবে, যা পূর্ণ থাকবে প্রাচুর্যে। পানি বা জল এই বর্ণনায় একটি বড় ভূমিকা রেখেছে। ওই লেখায় আছে, স্বর্গের বাগানের মাধ্যখানে একটি পাহাড় থেকে তৈরি হয়েছে চারটি নদী, আর তা আলাদা হয়ে বয়ে গেছে বাগানের উত্তর, দক্ষিণ, পূর্ব ও পশ্চিমে। thumb|200px|right|রৈখিক চৌবাচ্চার পাশ দিয়ে হাটার রাস্তা প্রায় সব মুঘল চারবাগসমূহ চতুর্ভুজাকৃতির, যার বাগানের মধ্যখানে মাজার বা শিবির থাকে। কিন্তু তাজমহল এ ব্যাপারটিতে অন্যগুলোর থেকে আলাদা কারণ এর মাজার অংশটি বাগানের মধ্যখানে হওয়ার বদলে বাগানের একপ্রান্তে অবস্থিত। যমুনা নদীর অপর প্রান্তে নতুন আবিষ্কৃত মাহতাব বাগ অন্যরকম তথ্যের আভাস দেয়, যমুনা নদীটি বাগানের নকশায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল যাতে তা স্বর্গের নদী হিসেবে অর্থবহ হয়। বাগানের বিন্যাস এবং এর স্থাপত্যের বৈশিষ্ট্য যেমন এর ঝরনা, ইট অথবা মার্বেলের রাস্তা এবং জ্যামিতিক ইটের রেখার ফুলের বিছানা এগুলো হুবহু সালিমারের মতো এবং এই ক্রম নকশা করেছেন একই প্রকৌশলী আলি মারদান। পরবর্তীকালে বাগানের গোলাপ, ড্যাফোডিল, বিভিন্ন ফলের গাছসহ অন্যান্য গাছগাছালির অতিপ্রাচুর্যের কথা জানা যায়। মুঘল সম্রাটদের উত্তরোত্তর অবক্ষয়ের সাথে সাথে বাগানেরও অবক্ষয় ঘটে। ইংরেজ শাসনামলে তাজমহলের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব ইংরেজরা নেয়। তারা এ প্রাকৃতিক ভূ-দৃশ্যকে পরিবর্তন করে নতুন করে লন্ডনের আনুষ্ঠানিক বাগানের চেহারা দেয়। অন্যান্য ইমারত thumb|200px|left|তাজমহলের প্রধান ফটক তাজমহলের চত্বরটি বেলে পাথরের দুর্গের মতো দেয়াল দিয়ে তিন দিক থেকে বেষ্টিত। নদীর দিকের পাশটিতে কোনো দেয়াল নেই। এই দেয়ালবেষ্টনির বাইরে আরও সমাধি রয়েছে যার মধ্যে শাহজাহানের অন্য স্ত্রীদের সমাধি এবং মুমতাজের প্রিয় পরিচারিকাদের একটি বড়ো সমাধি রয়েছে। এ স্থাপত্যসমূহ প্রধানত লাল বেলে পাথর দ্বারা তৈরি, দেখতে সে সময়কার ছোটো আকারের মুঘল সাধারণ সমাধির মতো। ভিতরের দিকে (বাগান) দেয়ালগুলো স্তম্ভ এবং ছাদ-সম্বলিত। যা সাধারণত হিন্দু মন্দিরে দেখা যেত এবং পরে মুঘলদের মসজিদের নকশায় আনা হয়েছিল। দেয়ালগুলো বিচিত্র গম্বুজাকৃতির ইমারত দিয়ে সংযুক্ত যা থেকে বেশ কিছু জায়গা নজরে আসে, যা পর্যবেক্ষণ চৌকি হিসেবে ব্যবহার করা হত। যা বর্তমানে জাদুঘর হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। তাজমহলে ঢোকার প্রধান ফটক বা দরজাও তৈরি হয়েছে মার্বেল পাথরে। দরজাটির নকশা ও ধরন মুঘল সম্রাটদের স্থাপত্যের কথাই স্মরণ করিয়ে দেয়। এর খিলানসমূহের আকৃতি হুবহু সমাধির খিলানসমূহের অনুরূপ এবং এর পিস্তাক খিলান সমাধির ক্যালিগ্রাফি বা চারুলিপির নকশার সাথে মিলিয়ে করা হয়েছে। এর ছাদে অন্যান্য বেলে পাথরের ইমারতের মতোই নকশা করা আছে, সেসব সুন্দর সুন্দর জ্যামিতিক আকৃতির। thumb|100px|left|জাওয়াবের ভিতরের নকশা চত্বরের একেবারে শেষে বেলেপাথরের দু’টো বিশাল ইমারত রয়েছে যার সমাধির দিকের অংশ খোলা। এদের পিছন ভাগ পূর্ব ও পশ্চিম দিকের দেয়ালের সমান্তরাল। thumb|180px|right| তাজ মহল মসজিদ দু’টো ইমারত দেখতে একেবারে হুবহু যেন একটা আরেকটির প্রতিচ্ছবি। পূর্ব দিকের ইমারতটি মসজিদ, অন্যটি হল জাওয়াব (উত্তর), যার মূল উদ্দেশ্য ছিল ভারসাম্য রক্ষা করা (যা মুঘল আমলে মেহমানদের থাকার জন্য ব্যবহৃত হত)। জাওয়াব আলাদা শুধু এর মেহরাম নেই আর এর মেঝে নকশা করা যেখানে মসজিদের মেঝে ৫৬৯ জন মুসল্লির নামাজ পড়ার জন্য কালো পাথর দিয়ে দাগ কাটা। মসজিদটির প্রাথমিক নকশা শাহজাহানের তৈরি অন্যান্য ইমারতের মতোই। বিশেষ করে তার মসজিদ-ই-জাহান্নুমা অথবা দিল্লী জামে মসজিদ—একটি বড় ঘর যার উপর তিনটি গম্বুজ। মুঘল আমলের মসজিদগুলোর নামাজ পড়ার জায়গা তিন ভাগে ভাগ করা থাকত। বড়ো নামাজ পড়ার জায়গার দু'পাশে সামান্য ছোটো নামাজ পড়ার জায়গা। তাজমহলের প্রত্যেকটি নামাজ পড়ার জায়গার উপরে বিশাল গম্বুজ আছে কিন্তু জায়গাটি খোলা। ইমারতটির নির্মাণ সম্পূর্ণ হয়েছিল ১৬৪৩ খ্রিষ্টাব্দে। সমাধি ভিত্তি thumb|right|120px| তাজমহলের মেঝের পরিকল্পনা। thumb|left|170px| প্রধান আইওয়ান এবং পার্শ্ব পিস্তাক তাজমহলের মূলে হল তার সাদা মার্বেল পাথরের সমাধি। যা অন্যান্য মুঘল সমাধির মত মূলত পারস্যদেশীয় বৈশিষ্ট্য, যেমন আইওয়ানসহ প্রতিসম ইমারত, একটি ধনুক আকৃতির দরজা, উপরে বড় গম্বুজ রয়েছে। সমাধিটি একটি বর্গাকার বেদিকার উপর দাঁড়িয়ে রয়েছে। ভিত্তি কাঠামোটি বিশাল এবং কয়েক কক্ষবিশিষ্ট। প্রধান কক্ষটিতে মুমতাজ মহল ও শাহজাহানের স্মৃতিফলক বসানো হয়েছে, তাদের কবর রয়েছে এক স্তর নিচে। ভিত্তিটি আদতে একটি কোণগুলো ভাঙা ঘনক্ষেত্র, প্রতিদিকে প্রায় ৫৫ মিটার (ডানে, মেঝের পরিকল্পনা দেখুন)। লম্বা পাশে একটি বড় পিস্তাক, অথবা বড় ধনুক আকৃতির পথ, আইওয়ানের কাঠামো, সাথে উপরে একই রকমের ধনুক আকৃতির বারান্দা। এই প্রধান ধনুক আকৃতির তোরণ বৃদ্ধি পেয়ে উপরে ইমারতের ছাদের সাথে যুক্ত হয়ে সম্মুখভাগ তৈরি করেছে। তোরণের অপর দিকে, বাড়তি পিস্তাকসমূহ উপরে পিছনের দিকে চলে গেছে, পিস্তাকের এই বৈশিষ্ট্যটি কোণার দিকে জায়গায় একইভাবে ব্যবহার করা হয়েছে। নকশাটি সম্পূর্ণভাবে প্রতিসম এবং ইমারতের প্রতিটি দিকেই একই রকম। চারটি মিনার রয়েছে, ভিত্তির প্রতিটি কোণায় একটি করে মিনার, ভাঙা কোণার দিকে মুখ করে রয়েছে। গম্বুজ thumb|left|160px|ভিত্তি, গম্বুজ এবং মিনার সমাধির উপরের মার্বেল পাথরের গম্বুজই সমাধির সবচেয়ে আকর্ষণীয় বৈশিষ্ট্য। এর আকার প্রায় ইমারতের ভিত্তির আকারের সমান, যা প্রায় ৩৫ মিটার। এর উচ্চতা হওয়ার কারণ গম্বুজটি একটি ৭ মিটার উচ্চতার সিলিন্ডার আকৃতির ড্রাম এর উপরে বসানো। এর আকৃতির কারণে, এই গম্বুজকে কখনো পেয়াজ গম্বুজ অথবা পেয়ারা গম্বুজ বলেও ডাকা হয়। গম্বুজের উপরের দিক সাজানো হয়েছে একটি পদ্মফুল দিয়ে, যা তার উচ্চতাকে আরও দৃষ্টি গোচড় করে। গম্বুজের উপরে একটি পুরনো সম্ভবত তামা বা কাসার দণ্ড রয়েছে যাতে পারস্যদেশীয় ও হিন্দু ঐতিহ্যবাহী অলঙ্করণ রয়েছে। thumb|right|70px|গম্বুজের উপর সাজানো দন্ড বড় গম্বুজটির গুরুত্বের কারণ এর চার কোণায় আরও চারটি ছোট গম্বুজ রয়েছে। ছোট গম্বুজগুলোও দেখতে বড় গম্বুজটির মতই। এদের স্তম্ভগুলো সমাধির ভিত্তি থেকে ছাদ পর্যন্ত উঠে গেছে। ছোট গম্বুজগুলোতেও কাসা বা তামার পুরনো দণ্ড আছে। লম্বা মোচাকার চূড়া বা গুলদাস্তা ভিত্তি দেয়ালের পাশ দিয়ে উপরে উঠেছে এবং গম্বুজের উচ্চতায় দৃষ্টিগোচর হয়। পদ্মফুল ছোট গম্বুজ ও গুলদাস্তাতেও রয়েছে। চূড়া বড় গম্বুজের উপর মুকুটের মত একটি পুরনো মোচাকার চূড়া রয়েছে। চূড়াটি ১৮০০ শতকের আগে স্বর্ণের নির্মিত ছিল, কিন্তু বর্তমানে এটি ব্রোঞ্জ দিয়ে তৈরি। এই চূড়াটিই পারস্যদেশীয় এবং হিন্দুদের শোভাবর্ধক উপাদানের মিলনের উৎকৃষ্ট উদাহরণ। চূড়ার উপরের অংশে আছে একটি চাঁদ, যা ইসলামিক উপাদান, এবং চূড়ার শিং তাক করা আছে স্বর্গ বা বেহেস্তের দিকে। বড় গম্বুজের উপর চূড়ার চাঁদ এবং তাক করা শিং মিলে একটি ঐতিহ্যবাহী চিহ্নের আকার ধারণ করে, যা হিন্দু দেবতা শিব এর চিহ্নের মত। মিনার মিনারগুলোর মূল বেদিকার কোণাগুলোতে রয়েছে- চারটি বড় চৌকি যাদের প্রতিটির উচ্চতা ৪০ মিটারেরও বেশি। মিনারগুলোতেও তাজমহলের প্রতিসমতার ব্যাপারটিই লক্ষ্য করা যায়। চৌকিগুলো নকশা করা হয়েছে মসজিদের প্রথাগত মিনারের নকশায়, যেখানে মুয়াজ্জিন নামাজের জন্য আযান দেন। প্রতিটি মিনারেরই দুইটি বারান্দা দিয়ে তিনটি সমান উচ্চতায় ভাগ করা হয়েছে। মিনারের একেবারে উপরে শেষ বারান্দা রয়েছে যার উপরে সমাধির ছাতাগুলোর একই রকম একটি ছাতা রয়েছে। মিনারের ছাতাগুলোতেও একই রকমের কাজ করা হয়েছে যেমনটি করা হয়েছে পদ্মফুলের নকশা করা চূড়াতে। প্রতিটি মিনারই বেদিকার থেকে বাইরের দিকে কিঞ্চিৎ হেলানো আছে যাতে এ মিনার কখনও ভেঙ্গে পড়লেও যেন তা মূল সমাধির উপরে না পড়ে। অলঙ্করণ পাথরের খোদাই (সূক্ষ্ম কারিগরি ভাল দেখা যাবে ছবির বড় সংস্করণে -- বড় করে দেখার জন্য ছবিতে ক্লিক করুন) নির্মাণ thumb|তাজমহলের মেঝের বিন্যাস তাজমহল দেয়াল ঘেরা আগ্রা শহরের দক্ষিণ অংশের একটি জমিতে তৈরি করা হয়েছিল যার মালিক ছিলেন মহারাজা জয় শিং। শাহজাহান তাকে আগ্রার মধ্যখানে একটি বিশাল প্রাসাদ দেওয়ার বদলে জমিটি নেন। তাজমহলের কাজ শুরু হয় সমাধির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের মাধ্যমে। প্রায় ৩ একর জায়গাকে খনন করে তাতে আলগা মাটি ফেলায় হয় নদীর ক্ষরণ কমানোর জন্য। সম্পূর্ণ এলাকাকে নদীর পাড় থেকে প্রায় ৫০ মিটার উঁচু করা সমান করা হয়। তাজমহল ৫৫ মিটার লম্বা। সমাধিটি নিজে ব্যাসে ১৮ মিটার এবং উচ্চতায় ২৪ মিটার।190px|thumb|left| আগ্রার কেল্লা থেকে তাজমহল দেখা যাচ্ছে সমাধি এলাকায় যেখানে পানি চলে আসে সেখানে পরে কুয়া খনন করা হয়েছিল। যা পরে পাথর ফেলে ভরাট করা হয়েছিল, যা ছিল সমাধি ভিত্তিস্থাপন। [একই গভীরতায় আরও একটি কুয়া খনন করা হয়েছিল সময়ের সাথে সাথে পানির স্তর পরিমাপ করার জন্য।] বাধা বাঁশ এর বদলে রাজমিস্ত্রিরা তাদের সাধারণ ভারা বাধার নিয়মে সমাধির ভেতরে এবং বাইরে একই রকম ইটের ভারা তৈরি করেন। ভারা এত বড় এবং জটিল ছিল যে তা শ্রমিকদের খুলে সরাতে প্রায় বছর লাগার কথা। উপাখ্যান অনুযায়ী, শাহজাহান ঘোষণা দিয়েছিলেন যে কেউ ভারার ইট নিয়ে যেতে পারবে এবং একরাতের মধ্যে কৃষক, দিনমজুর, চাষীরা ভারাটি সরিয়ে নিয়েছিল। পনের কিলোমিটারের একটি ঢালু পথ তৈরি করা হয়েছিল নির্মাণের জন্য নির্দিষ্ট স্থানে মার্বেল পাথর ও অন্যান্য মালপত্র নেওয়ার জন্য। সমসাময়িক উৎস থেকে জানা যায়, ২০ ও ৩০টি করে ষাঁড় একসাথে বেধে বিশেষ ধরনের গরুর গাড়ীতে করে পাথর ঊঠানো হত। পাথর উঠিয়ে ঠিক উচ্চতায় বসাতে কপিকল ব্যবহার করা হত। গাধা এবং ষাঁড়ের দল কপিকল নাড়াতে শক্তির যোগান দিতো। নির্মাণকাজের ক্রম ছিল এরকম ভিত্তি সমাধি চারটি মিনার মসজিদ এবং জাওয়াব প্রবেশ দরজা ভিত্তি আর সমাধি নির্মাণ করতে সময় লেগেছিল প্রায় ১২ বছর। পুরো এলাকার বাকি অংশগুলো নির্মাণ করতে লেগেছিল আরও ১০ বছর। (যেহেতু চত্বর এলাকাটি কয়েকটি ভাগে নির্মিত হয়েছিল তাই তৎকালীন ইতিহাস লেখকগণ নির্মাণ শেষের বিভিন্ন তারিখ উল্লেখ করেন। যেমন সমাধিটির কাজ শেষ হয়েছিল ১৬৪৩ খ্রিষ্টাব্দে, কিন্তু বাকি অংশগুলোর কাজ তখনও চলছিল।) জল সঞ্চালন অবকাঠামো তাজমহলের জন্য পানি বা জল সরবরাহ করা হত একটি জটিল অবকাঠামোর মাধ্যমে। পানি নদী থেকে উঠানো হতো কয়েকটি পুর দিয়ে- দড়ি ও বালটির মাধ্যমে পানি পশু দ্বারা টেনে তোলার এক পদ্ধতি। পানি একটি বড় চৌবাচ্চায় জমা হত, যা আরও আরও ৩০টি পুর দিয়ে উঠিয়ে তাজমহলের মাটির নিচের সরবরাহ চৌবাচ্চায় দেওয়া হতো। সরবরাহ চৌবাচ্চায় থেকে পানি পৌঁছত আরও তিনটি সহায়ক চৌবাচ্চায়, যা থেকে তাজমহল এলাকায় পাইপ দ্বারা সংযুক্ত ছিল। একটি .২৫ মাটির তৈরি পাইপ প্রায় ১.৫ মিটার মাটির নিচ দিয়ে প্রধান চলার পথ বরাবর নেওয়া হয়েছে। যা চত্বরের মূল চৌবাচ্চাটি পূরণ করে। আরও তামার পাইপ দিয়ে উত্তর-দক্ষিণ দিকে নালার ঝরনাগুলোতে পানি সরবরাহ করা হতো। সহায়ক আরও নালা খনন করা হয়েছিল পুরো বাগানে সেচ দেয়ার জন্য। ঝরনার পাইপগুলো সরাসরি সরবরাহ পাইপের সাথে যুক্ত ছিল না। এর বদলে, প্রতিটি ঝরনার নিচে একটি করে তামার পাত্র বসানো হয়েছিল। পানিতে প্রথম পাত্রগুলোতে ভরাট হত যাতে প্রতিটি ঝরনায় সমানভাবে পানির চাপ প্রয়োগ করা যায়। পুরগুলো এখন আর অবশিষ্ট নেই, কিন্তু অবকাঠামোর অন্যান্য অংশ এখনো আগের মতই আছে। কারিগর তাজমহল কোন একজন ব্যক্তির দ্বারা নকশা করা নয়। এ ধরনের প্রকল্পে অনেক প্রতিভাধর লোকের প্রয়োজন। বিভিন্ন উৎস থেকে তাজমহল নির্মাণ কাজে যারা অংশ নিয়েছিলেন তাদের বিভিন্ন নাম পাওয়া যায়। পারস্যদেশীয় স্থপতি, ওস্তাদ ঈসা; চত্বরের নকশা করার বিশেষ ভূমিকায় অনেক স্থানেই তার নাম পাওয়া যায়। পারস্য দেশের (ইরান) বেনারসের 'পুরু'; ফার্সি ভাষার এক লেখায় (দেখুন ) তাকে তত্ত্বাবধায়ক স্থপতি হিসেবে উল্লেখ করেছে। বড় গম্বুজটির নকশা করেছিলেন ওত্তোমান সাম্রাজ্য থেকে আসা ইসমাইল খাঁন, যাকে গোলার্ধের প্রথম নকশাকারী এবং সে যুগের একজন প্রধান গম্বুজ নির্মাতা মনে করা হয়। কাজিম খাঁন, লাহোরের বাসিন্দা, বড় গম্বুজের চূড়ায় যে স্বর্ণের দণ্ডটি ছিল, তিনি তা গড়েছিলেন। চিরঞ্জিলাল, একজন পাথর খোদাইকারক যিনি দিল্লী থেকে এসেছিলেন; প্রধান ভাস্কর ও মোজাইকারক হিসেবে নেওয়া হয়েছিল। পারস্যের (সিরাজ, ইরান) আমানত খাঁন, যিনি প্রধান চারুলিপিকর (তার নাম তাজমহলের প্রবেশপথের দরজায় প্রত্যায়িত করা আছে, সেখানে তার নাম পাথরে খোদাই করে লেখা আছে) মোহাম্মদ হানিফ রাজমিস্ত্রিদের তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন। সিরাজ, ইরান থেকে মীর আব্দুল করিম এবং মুক্কারিমাত খাঁন, যারা ব্যবস্থাপনা ও আর্থিক দিকগুলো সামাল দিতেন। মালামাল সামগ্রী ও উপাদান তাজমহল তৈরি হয়েছে সাড়া এশিয়া এবং ভারত থেকে আনা বিভিন্ন উপাদান সামগ্রী দিয়ে। নির্মাণ কাজের সময় ১,০০০ এরও বেশি হাতি ব্যবহার করা হয়েছিল নির্মাণ সামগ্রী বহন করে আনার জন্য। আলো-প্রবাহী অস্বচ্ছ সাদা মার্বেল পাথর আনা হয়েছিল রাজস্থান থেকে, ইয়াশ্‌ব্‌- লাল, হলুদ বা বাদামী রঙের মধ্যম মানের পাথর আনা হয়েছেল পাঞ্জাব থেকে। চীন থেকে আনা হয়েছিল ইয়াশ্‌ম্‌- কঠিন, সাধা, সবুজ পাথর, স্ফটিক টুকরা। তিব্বত থেকে বৈদূর্য সবুজ-নীলাভ (ফিরোজা) রঙের রত্ন এবং আফগানিস্তান থেকে নীলকান্তমণি আনা হয়েছিল। নীলমণি- উজ্জ্বল নীল রত্ন এসেছিল শ্রীলঙ্কা এবং রক্তিমাভাব, খয়েরি বা সাদা রঙের মূল্যবান পাথর এসেছিল আরব থেকে। এ আটাশ ধরনের মহামূল্যবান পাথর সাদা মার্বেল পাথরেরে উপর বসানো রয়েছে। খরচ তৎকালীন নির্মাণ খরচ অনুমান করা কঠিন ও কিছু সমস্যার কারণে তাজমহল নির্মাণে কত খরচ হয়েছিল তার হিসাবে কিছুটা হেরফের দেখা যায়। তাজমহল নির্মাণে তৎকালীন আনুমানিক ৩২ মিলিয়ন রুপি খরচ হয়েছিল বলে ধারণা করা হয়। কিন্তু শ্রমিকের খরচ, নির্মাণে যে সময় লেগেছে এবং ভিন্ন অর্থনৈতিক যুগের কারণে এর মূল্য অনেক, একে অমূল্য বলা হয়। ইতিহাস তাজমহলের নির্মাণ কাজ শেষ হতে না হতেই শাহ জাহান তার পুত্র আওরঙ্গজেব দ্বারা ক্ষমতাচ্যুত ও আগ্রার কেল্লায় গৃহবন্দি হন। কথিত আছে, জীবনের বাকি সময়টুকু শাহ জাহান আগ্রার কেল্লার জানালা দিয়ে তাজমহলের দিকে স্থির দৃষ্টিতে তাকিয়েই কাটিয়েছিলেন। শাহ জাহানের মৃত্যুর পর আওরঙ্গজেব তাকে তাজমহলে তার স্ত্রীর পাশে সমাহিত করেন। একমাত্র এ ব্যাপারটিই তাজমহলের নকশার প্রতিসমতা নষ্ট করেছে। ১৯ শতকের শেষ ভাগে তাজমহলের একটি অংশ মেরামতের অভাবে খুব খারাপভাবে নষ্ট হয়। ১৮৫৭ সালের সিপাহী বিপ্লবের সময় ইংরেজ সৈন্যরা তাজমহলের বিকৃতি সাধন করে আর সরকারি কর্মচারীরা বাটালি দিয়ে তাজমহলের দেয়াল থেকে মূল্যবান ও দামি নীলকান্তমণি খুলে নেয়। thumb|left|160px|যুদ্ধের সময় রক্ষাকারী ভারা ১৯ শতকের শেষ দিকে লর্ড কার্জন তাজমহল পুনর্নির্মাণের একটি বড় প্রকল্প হাতে নেন। প্রকল্পের কাজ ১৯০৮ সালে শেষ হয়। তিনি তাজমহলের ভিতরের মঞ্চে একটি বড় বাতি (যা কায়রো মসজিদে ঝুলানো একটি বাতির অনুকরণে তৈরি করার কথা ছিল কিন্তু তৎকালীন কারিগরেরা ঠিক হুবহু তৈরি করতে পারেনি ) বসিয়েছিলেন। তখনই বাগানের নকশা পরিবর্তন করে ইংরেজ পার্কের মত করে গড়া হয় যা এখনও রয়েছে। বিংশ শতাব্দীতে তাজমহলের ভাল রক্ষণাবেক্ষণ হয়। ১৯৪২ সালে যখন জার্মান বিমান বাহিনী এবং পরে জাপানি বিমান বাহিনী দ্বারা আকাশপথে হামলা চালায় তৎকালীন সরকার তখন তাজমহল রক্ষার জন্য এর উপর একটি ভারা তৈরি করেছিল (ছবি দেখুন)। ১৯৬৫ এবং ১৯৭১ সালে পাকিস্তান-বাংলাদেশ যুদ্ধের সময় তাজমহলকে ভারা দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছিল যাতে বিমান চালকদের ভ্রম তৈরি করে। কারণ ভারত বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে বিশ্বব্যাপী অকুণ্ঠ সমর্থন জুগিয়েছিল । তাজমহল সম্প্রতি যে হুমকির মুখে পড়েছে তা হল যমুনা নদীর তীরের পরিবেশ দূষণ। সাথে আছে মাথুরাতে তেল পরিশোধনাগারের কারণে সৃষ্ট এসিড বৃষ্টি (যা ভারতীয় উচ্চ আদালত নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে)। ১৯৮৩ সালে তাজমহলকে ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়। পর্যটনকেন্দ্র নির্মাণের পর থেকেই তাজমহল বহু পর্যটককে আকর্ষিত করেছে। এমনকি তাজমহলের দক্ষিণ পাশে ছোট শহর তাজ গঞ্জি বা মুমতাজাবাদ আসলে গড়ে তোলা হয়েছিল পর্যটকদের জন্য সরাইখানা ও বাজার তৈরির উদ্দেশ্যে যাতে পর্যটক এবং কারিগরদের চাহিদা পূরণ হয়। বর্তমানে, তাজমহলে ২ থেকে ৩ মিলিয়ন পর্যটক আসে যার মধ্যে ২,০০,০০০ পর্যটক বিদেশি, যা একে ভারতের সবচেয়ে জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্রে পরিণত করেছে। সবচেয়ে বেশি পর্যটক আসে ঠান্ডা মৌসুমে অক্টোবর, নভেম্বর ও ফেব্রুয়ারি মাসে। বায়ু দূষণকারী যানবাহন তাজমহলের কাছে আসা নিষিদ্ধ। তাই, পর্যটকদের গাড়ি রাখার স্থান থেকে পায়ে হেঁটে অথবা বৈদুতিক বাসে করে তাজমহলে আসতে হয়। খাওয়াসপুরা''গুলো পর্যটকদের জন্য পুনরায় চালু করা হয়েছে। বর্তমানে তাজ দর্শনের খরচ ভারতীয়দের জন্য মাত্র ৪০ টাকা।। সার্ক দেশের পর্যটকদের জন্য তাজের প্রবেশমূল্য ৫৩০ টাকা। আর বাকি বিশ্বের জন্য তা ১০০০ টাকা। ২০১৪ সালের ২৫ শে ডিসেম্বর থেকে তাজমহল পরিদর্শনের জন্যও পর্যটক দের জন্য অনলাইন টিকিটের ব্যবস্থা করছে অর্কিওলোজিকল সর্বে ওব ইন্ডিয়া । আরও জানতে Asher, Catherine B. Architecture of Mughal India New Cambridge History of India I.4 (Cambridge University Press) 1992 Bernier, Françoi' Travels in the Moghul Empire A.D. 1657-1668 (Westminster: Archibald Constable & Co.) 1891 Carroll, David (1971). The Taj Mahal, Newsweek Books Chaghtai, Muhammad Abdullah Le Tadj Mahal d'Agra (Inde). Histoire et description (Brussells: Editions de la Connaissance) 1938 Copplestone, Trewin. (ed). (1963). World architecture - An illustrated history. Hamlyn, London. Gascoigne, Bamber (1971). The Great Moguls, Harper & Row Havel, E.B. (1913). Indian Architecture: Its Psychology, Structure and History, John Murray Kambo, Muhammad Salih Amal-i-Salih or Shah Jahan Namah Ed. Ghulam Yazdani (Calcutta: Baptist Mission Press) Vol.I 1923. Vol. II 1927 Lahawri, 'Abd al-Hamid Badshah Namah Ed. Maulawis Kabir al-Din Ahmad and 'Abd al-Rahim under the superintendence of Major W.N. Lees. (Calcutta: College Press) Vol. I 1867 Vol. II 1868 Lall, John (1992). Taj Mahal, Tiger International Press Rothfarb, Ed (1998). In the Land of the Taj Mahal, Henry Holt Saksena, Banarsi Prasad History of Shahjahan of Dihli (Allahabad: The Indian Press Ltd.) 1932 Stall, B (1995). Agra and Fathepur Sikri, Millennium Stierlin, Henri [editor] & Volwahsen, Andreas (1990). Architecture of the World: Islamic India, Taschen Tillitson, G.H.R. (1990). Architectural Guide to Mughal India, Chronicle Books তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ Taj Mahal Facts And Myths The Taj Mahal Exclusive Gallery Explore the Taj Mahal Online virtual tour with 360° panoramas & downloadbale school assets Taj Mahal Taj Mahal in UNESCO List Photographs of Taj Mahal and other sites in Agra Chronology of events associated with the Taj Mahal based on 17th Century Sources Berger Foundation (Fondation Berger) French site displaying dozens of detailed photos of Taj Mahal Moonlight Garden and the Black Taj Myth Taj-Taj Mahal beauty beyond imagination 'The Man Of Marble' - Outlook India Taj Mahal's 360° panorama photo & more 1 MB Download 11640 X 770 size Photo (Creative Commons). Taj Mahal Stamp বিষয়শ্রেণী:মধ্যযুগের সপ্তাশ্চর্য বিষয়শ্রেণী:স্মৃতিসৌধ বিষয়শ্রেণী:বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান
তাজমহল
ঘটনাবলী ১৬০৯ - ইউরোপের দ্বিতীয় পাবলিক লাইব্রেরি চালু হয়। ১৭৯৪ - হেরাল্ড অব রুটল্যান্ডের প্রথম সংখ্যা প্রকাশিত হয়। ১৮৬৮ - জাপানে শুউগুনদের একনায়ক শাসনের অবসান ঘটে এবং এরপর থেকে সেদেশে সাংস্কৃতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক সংস্কার প্রক্রিয়া শুরু হয়। ১৮৮১ - ভিয়েনার রিং থিয়েটার পুড়ে যায়। ১৯১৪ - আর্জেন্টিনার উপকণ্ঠে একটি দ্বীপপুঞ্জের কাছে ফাল্কল্যাণ্ড সাগরে ব্রিটিশ ও জার্মানির মধ্যে বড় ধরনের যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল। ১৯১৭ - ব্রিটেনের কাছে জেরুজালেমের আত্মসমর্পণ। ১৯১৮ - ব্রিটেন জেরুজালেম দখল করে। ১৯২৩ - যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানির মধ্যে বন্ধুত্ব চুক্তি হয়। ১৯৩০ - কলকাতা শহরের মহকরণে আজকের দিনের অলিন্দ যুদ্ধে বিনয় বসু,বাদল গুপ্ত, দীনেশ গুপ্ত অত্যাচারী ইংরেজ অফিসার এন জি সিম্পসন হত্যা করেন। ১৯৪১ - গ্রেট ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়া ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জাপানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। ১৯৪৬ - সংবিধান রচনার জন্য দিল্লিতে ভারতের গণপরিষদের প্রথম সভা হয়। ১৯৪৯ - চীনের জাতীয়তাবাদী নেতা চিয়াং কাইশেক মাওসেতুং এর নেতৃত্বে কমিউনিষ্ট দলের সমর্থকদের কাছে পরাজিত হওয়ার পর কিছু সংখ্যক সমর্থক নিয়ে তাইওয়ানে পালিয়ে যান। ১৯৫৮ - নিখিল আফ্রিকা গণ সম্মেলন ঘানার রাজধানী আক্রায় অনুষ্ঠিত হয় । ১৯৭১ - ভারত পাকিস্তান যুদ্ধে ভারতীয় নৌবাহিনী পাকিস্তানের করাচী বন্দরে হামলা করে। ১৯৭১ - শেরপুরের নকলা পাক হানাদার মুক্ত হয়। ১৯৭২ - বাংলাদেশকে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয় ঘানা। ১৯৭৪ - গ্রীসে রাজতন্ত্র বিলুপ্ত হয়। ১৯৮৫ - দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা তথা সার্ক ঢাকায় গঠিত হয়। ১৯৮৭ - ফিলিস্তিনে ইহুদি বসতকারী ইজরায়েলের সৈন্যরা গাজা সীমান্তে এক সড়ক ‘দূর্ঘটনায়’ ৪ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করে ও ৭ জনকে আহত করে। এর ফলে ইন্তিফাদা আন্দোলন শুরু হয়। ১৯৯১ - এই দিন রাশিয়া, বেলারুশ ও ইউক্রেইনের নেতারা একটি চুক্তির মাধ্যমে সোভিয়েত ইউনিয়ন বিলুপ্ত করেন এবং কমনওয়েলথ অব ইন্ডিপেন্ডেন্ট স্টেটস গঠন করেন। ১৯৯৬ - জাকার্তায় ওআইসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী সম্মেলন শুরু হয়। ১৯৯৭ - ৪৫ বছর বয়স্ক জেনী হিপলি নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথগ্রহণ করেন এবং নিউজিল্যান্ডের ইতিহাসে প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হন। ২০০৯ - বাগদাদে এক বোমা বিষ্ফোরণে ১২৭ জন নিহত ও ৪৪৮ জন আহত হয়। জন্ম ১৬২৬ - সুইডেনের রানি ক্রিশ্চিয়ানা। ১৮৩২ - নোবেলজয়ী [১৯০৩] নরওয়েজীয় কবি ও নাট্যকার বিওর্নস্টার্নে বিওর্নসন। ১৮৬৫ - জাক হাদামার্দ, ফরাসি গণিতবিদ। ১৯০০ - ভারতের খ্যাতিমান নৃত্যশিল্পী, নৃত্যপরিকল্পক ও অভিনেতা উদয়শঙ্কর। ( মৃ.২৬/০৯/১৯৭৭) ১৯১৩ - কমিউনিস্ট বুদ্ধিজীবী ও ইতিহাসবিদ চিন্মোহন সেহানবীশ।(মৃ.১৯/০৫/১৯৮৭) ১৯২৭ - ইংলিশ চ্যানেল বিজয়ী সাঁতারু ব্রজেন দাস। ১৯৪১ - জিওফ্রে চার্লস হার্স্ট, ইংরেজ ফুটবলার। ১৯৪২ - হেমন্ত কানিদকর, ভারতীয় ক্রিকেটার। ১৯৪৩ - জিম মরিসন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, আমেরিকান সংগীতশিল্পী, গীতিকার, লেখক, চলচ্চিত্র পরিচালক এবং কবি। মৃত্যু ১৫৬০ - সুইডেনের রাজা ফ্রেডরিক। ১৯০৩ - খ্যাতনামা ব্রিটিশ চিন্তাবিদ ও দার্শনিক হার্বার্ট স্পেন্সার (জ.২৭/০৪/১৮২০) ১৯২০ - শাইখুলহিন্দ হযরত মাওলানা মাহমুদ হোসাইন। ১৯৫৫ - হেরমান ভাইল, জার্মান গণিতবিদ। ১৯৮০ - বিটলসের কিংবন্তী গায়ক, গীতিকার ও শান্তিকর্মী জন লেনন নিউ ইয়র্কে মার্ক ডেভিড চাপম্যান নামক মানসিক ভারসাম্যবিহীন এক ব্যক্তির গুলিতে নিহত হন। ১৯৮৬ - আ. ন. ম. বজলুর রশীদ, বাংলাদেশী সাহিত্যিক ও শিক্ষাবিদ। ১৯৯১ - মেলবোর্ন অলিম্পিক [১৯৫৬] তিন হাজার মিটার, পাঁচ হাজার মিটার ও ৬ মাইল দৌড় প্রতিযোগিতায় রেকর্ড সৃষ্টিকারী অ্যাথলিট গর্ডন পিরি। ছুটি ও অন্যান্য বহিঃসংযোগ বিষয়শ্রেণী:গ্রেগরীয় পঞ্জিকার দিন বিষয়শ্রেণী:ডিসেম্বর
৮ ডিসেম্বর
ঘটনাবলী ১৩৯৮ - তৈমুর লঙ দিল্লির সুলতান মুহম্মদ তুঘলকের কাছ থেকে দিল্লি দখল করে নেন। ১৮৬৫ - মার্কিন সংবিধানের ১৩শ সংশোধনী ঘোষণা করার ফলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে দাসপ্রথা বিলুপ্ত হয়। ১৯১২ - মার্কিন কংগ্রেস সেদেশে অশিক্ষিত অভিবাসীর প্রবেশ নিষিদ্ধ করে। ১৯৬৯ - ব্রিটেনে খুনের জন্য মৃত্যুদণ্ডের বিধান রহিত করা হয়। ১৯৭১ - সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে অস্থায়ী সরকারের মন্ত্রীসভার প্রথম বৈঠক ঢাকায় অনুষ্ঠিত। ১৯৭২ - সংবিধান অনুযায়ী বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট প্রথম কার্যক্রম শুরু করে। ১৯৯৯ - স্বাধীন বাংলাদেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম সমাবর্তন। জন্ম ১৮২৪ - লালাবিহারী দে,বৃটিশ ভারতীয় সাংবাদিক ও খ্রিস্টান মিশনারি।(মৃ.২৮/১০/১৮৯২) ১৮৫৬ – জে জে টমসন, ইংরেজ পদার্থবিদ্ এবং অধিবিদ্যাবিৎ, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী (মৃ.৩০/০৮/১৯৪০) ১৮৭০ – সাকি, ব্রিটিশ ছোট গল্পকার (মৃত্যু: ১৯১৬) ১৮৭৮ – জোসেফ স্ট্যালিন, জর্জিয়ান-রাশিয়ান মার্শাল এবং রাজনীতিবিদ, ৪র্থ সোভিয়েত ইউনিয়ন প্রধান (মৃত্যু: ০৫/০৩/১৯৫৩) ১৮৯০ – এডউইন হাওয়ার্ড আর্মস্ট্রং, মার্কিন প্রকৌশলী, এফএম রেডিওর জনক (মৃ.৩১/০১/১৯৫৪) ১৯৩০ - সাহিত্যিক-সাংবাদিক শহীদ সাবের। ১৯৩৯ – হ্যারল্ড ইলিয়ট ভারমাস, মার্কিন জীববিজ্ঞানী এবং অধিবিদ্যাবিৎ, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ১৯৪৬ – স্টিভেন স্পিলবার্গ, মার্কিন পরিচালক, প্রযোজক এবং চিত্রনাট্যকার, ড্রিমওয়ার্কসের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ১৯৫০ – শরৎ ফনসেকা, শ্রীলংকার জেনারেল ও রাজনীতিবিদ ১৯৫২ - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত, বাঙালি সংস্কৃত পণ্ডিত ও দার্শনিক।(জ.১৮/১০/১৮৮৭) ১৯৬১ – লালচাঁদ রাজপুত, সাবেক ভারতীয় ক্রিকেটার ১৯৬৩ – ব্র্যাড পিট, মার্কিন অভিনেতা এবং প্রযোজক ১৯৭৫ – সিয়া, অস্ট্রেলিয়ান গায়িকা-গীতিকার ১৯৮৬ – উসমান খাজা, পাকিস্তানি-অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার ১৯৮৮ – ইমাদ ওয়াসিম, পাকিস্তানি ক্রিকেটার ১৯৮৯ - আল্লামা ইকবাল অনিক, বাংলাদেশী সাংবাদিক। মৃত্যু ১৯৬২ - পদার্থ বিদ্যায় নোবেলজয়ী ডেনিশ বিজ্ঞানী নিলস বোর। ১৯৭৩ - কমরেড মুজফ্‌ফর আহমদ, ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির নেতা।(জ.০৫/০৮/১৮৮৯) ১৯৮৩ - প্রফুল্লচন্দ্র ঘোষ,ভারতীয় রাজনীতিবিদ,স্বাধীনতা সংগ্রাম,পশ্চিমবঙ্গের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী। (জ.২৪/১২/১৮৯১) ১৯৮৪ - শক্তিরঞ্জন বসু, ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের কর্মী ও সমাজসেবী (জ.১৯০৮) ২০০৪ - বিজয় হাজারে, ভারতীয় ক্রিকেটার। ২০০৬ - বিকাশ ভট্টাচার্য, ভারতীয় বাঙালি চিত্রশিল্পী।(জ.২১/০৬/১৯৪০) ছুটি ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস (জাতিসংঘ) সুপ্রিম কোর্ট দিবস (বাংলাদেশ) বহিঃসংযোগ বিবিসি: এই দিনে দ্য নিউইয়র্ক টাইমস: এই দিনে বিষয়শ্রেণী:গ্রেগরীয় পঞ্জিকার দিন বিষয়শ্রেণী:ডিসেম্বর
১৮ ডিসেম্বর
ঘটনাবলি ১৩৫৮ - ইসলামি বিপ্লবের নেতা ইমাম খোমেনী দেশব্যাপী শিক্ষা আন্দোলন শুরুর জন্য গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ জারি করেন। ১৪৩৭ - দ্বিতীয় অ্যালবার্ট বোহেমিয়ার রাজা হন। ১৭০৩ - ইংল্যান্ড ও পর্তুগাল বাণিজ্য চুক্তি করে। ১৮২৫ - ইংল্যান্ডে তৈরি বাষ্পীয় ইঞ্জিন রেলপথে চলাচল শুরু করে। ১৮৩১ - চার্লস ডারউইন বিশ্ব পরিভ্রমণের উদ্দেশ্যে সমুদ্রযাত্রা করেন। ১৮৭১ - প্রথম বিড়াল প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। ১৯০৬ - লন্ডনের বিখ্যাত গ্লোব থিয়েটার প্রথম উদ্বোধন হয় হিকস থিয়েটার নামে। ১৯১১ - "জন গণ মন", ভারতের জাতীয় সংগীত, প্রথম ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের কলকাতা সেশন মধ্যে গাওয়া হয়। ১৯২৮ - মুজফফর আহমদের উদ্যোগে ‘শ্রমিক কৃষক দল’-এর তিন দিনব্যাপী প্রথম সর্বভারতীয় সম্মেলন কলকাতায় অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৩৯ - তুরস্কের আনাতোলিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়ে যায়। ১৯৪১ জাপান কলকাতা ও ম্যানিলায় বোমাবর্ষণ করে। ১৯৪৫ বিশ্বব্যাংক প্রতিষ্ঠিত হয়। ঐতিহাসিক মস্কো চুক্তিতে স্বাক্ষরিত হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন ও সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করে। এই চুক্তির ভিত্তিতে কোরিয়াকে দুই অংশে বিভক্ত করা হয়। জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিল বা 'আইএমএফ'-এর কার্যক্রম শুরু হয়৷ ১৯৪৯ - ইন্দোনেশিয়া গঠিত হয়। ১৯৫৫ - পেইচিং গুয়েন্ঠিন জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের নির্মাণ কাজ শেষ হয়। ১৯৫৪ সালের এপ্রিল মাস থেকে এই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ১৯৬০ - জাপানের মন্ত্রীসভায় জিডিপির আয় বাড়ানোর পরিকল্পনা অনুমোদিত হয়। ১৯৭১ - মৌলভীবাজারের একটি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে বিস্ফোরণে ২৭ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। ১৯৭৪ - বাংলাদেশে জরুরী অবস্থা ঘোষণা করা হয়। ১৯৭৮ - ৪০ বছর স্বৈরশাসনের পর স্পেন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের মর্যাদা পায়। ১৯৭৮ - চীন থেকে প্রথম দফায় ৫০জন পণ্ডিত ওয়াশিংটনে পৌঁছেন। ১৯৭৯ ঢাকার কুর্মিটোলায় জিয়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের (বর্তমানে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর) উদ্বোধন করা হয়। সোভিয়েত বাহিনীর আফগানিস্তানে প্রবেশ। ১৯৮৫ ফিলিস্তিনের সন্ত্রাসবাদীরা রোম আর জেনিভায় বেশ কয়েকটি হত্যাকাণ্ড চালায়। এই হত্যাকাণ্ডে ১৪ জন নিহত আর ১১০ জন আহত হয়। বিশ্বের ৯৫টি দেশ দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরে ফ্রান্সের পরীক্ষামূলক পারমাণবিক বিস্ফোরণের প্রতিবাদ জানায় এবং এ প্রক্রিয়া বন্ধ করার আহ্বান জানায়। ২০০২ - বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণকারী চীনের দক্ষিণাঞ্চলের পানি উত্তরাঞ্চলে পাঠানো প্রকল্প উদ্বোধনের অনুষ্ঠান পেইচিং মহা গণ ভবনে এবং চিয়াংসু আর শানতোং প্রদেশে অনুষ্ঠিত হয়। জন্ম ১৫৭১ - ইয়োহানেস কেপলার, জার্মান গণিতবিদ ও জ্যোতির্বিজ্ঞানী। (মৃ. ১৬৩০) ১৭১৭ - ষষ্ঠ পায়াস, রোমান ক্যাথলিক পোপ। ১৭৯৭ - মির্জা আসাদুল্লাহ খাঁ গালিব, কবি। ১৮২২ - লুই পাস্তুর, জীবাণুতত্ত্ববিদ। (মৃ. ১৮৯৫) ১৯২৬ - জেবউন-নেসা জামাল, গীতিকার। ১৯২৭ - সুবল দাস, বাংলাদেশি সুরকার। ১৯৩১ - বদরুদ্দীন উমর, প্রাবন্ধিক। ১৯৩২ - শিবদাস বন্দ্যোপাধ্যায়, বাঙালি গীতিকার। (মৃ. ২০০৯) ১৯৩৫ সৈয়দ শামসুল হক, বাংলাদেশী কবি ও সাহিত্যিক। রাবেয়া খাতুন, একুশে পদক বিজয়ী বাংলাদেশী লেখিকা। (মৃ. ২০২১) ১৯৪২ - আন্তোনিও থিসনেরস, পেরুভীয় কবি। ১৯৬৫ - সালমান খান, ভারতীয় চলচ্চিত্র অভিনেতা। ১৯৯৫ - জুনায়েদ আহমদ, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব বাংলাদেশ। মৃত্যু ১৫৮৫ - পিয়ের দ্য রঁসা, ফরাসি কবি। ১৯১৫ - উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী, শিশু সাহিত্যিক ও চিত্রশিল্পী। ১৯৭৯ - মণীশ ঘটক, বাঙালি গল্পকার, কবি এবং ঔপন্যাসিক। (জ. ১৯০২) ১৯৮৭ - মনোজ বসু, কথাসাহিত্যিক। ১৯৮৮ - স্বামী গম্ভীরানন্দ, রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের একাদশ অধ্যক্ষ। (জ.১৮৯৯) ১৯৯৬ - বি এম আব্বাস, পানিবিশেষজ্ঞ। ২০০৭ - বেনজীর ভুট্টো, পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী। ছুটি ও অন্যান্য তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ বিবিসি: এই দিনে দি নিউইয়র্ক টাইমস: এই দিনে বিষয়শ্রেণী:গ্রেগরীয় পঞ্জিকার দিন বিষয়শ্রেণী:ডিসেম্বর বিষয়শ্রেণী:অসম্পূর্ণ দিনতারিখ
২৭ ডিসেম্বর
ঘটনাবলী ১৬৩০ - আমেরিকার বোস্টন শহর প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৭৮৭ - ফিলাডেলফিয়ার পেনিসেলভেনিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান স্বাক্ষরিত হয়। ১৮৪৬ - সাপ্তাহিক ‘দর্পণ’ প্রকাশিত হয়। ১৮৪৮ - সাপ্তাহিক সংবাদপত্র ‘সাপ্তাহিক অরুণোদয়’ প্রকাশিত হয়। ১৮৭১ - সুইজারল্যান্ড মন্ট সেনিস রেলওয়ে টানেল উদ্বোধন করা হয়। ১৯০৩ - মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাইট ভ্রাতৃদ্বয় অরভিল রাইট ও উইলবার রাইট সাফল্যের সঙ্গে উড়োজাহাজের উড্ডয়ন ঘটান। ১৯০৫ - বঙ্গভঙ্গের প্রতিবাদে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচনা করেন ‘বাংলার মাটি বাংলার জল’ গানটি। ১৯১৪ - গ্রিস ও এশিয়া মাইনরে প্রচন্ড ভূমিকম্পে ৩ হাজারেরও বেশি লোকের প্রাণহানি ঘটে। ১৯২০ - প্রবাসে [তাসখন্দে] ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি গঠিত হয়। ১৯২৪ - হিন্দু মুসলমান সম্প্রীতির জন্য মহাত্মা গান্ধীর অনশন। ১৯৩৬ - ইরান-তুরস্ক শান্তি চুক্তি সম্পাদিত হয়। ১৯৪০ - মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীর নেতৃত্বে ব্যক্তিগত সত্যাগ্রহ শুরু হয়। ১৯৪৪ - ওস্টল্যান্ড হতে এস্তোনিয়া স্বাধীনতা লাভ করে। ১৯৪৮ - আরব ইসরাইল যুদ্ধ এবং ফিলিস্তিন সংকট বিষয়ক জাতিসঙ্ঘের মধ্যস্ততাকারী কেন্ট বার্ণাডোট বায়তুল মোকাদ্দাসে ইহুদী অধ্যুষিত এলাকায় ইহুদীবাদীদের হাতে নিহত হয়েছিলেন। ১৯৫৭ - মালয়েশিয়া জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভ করে। ১৯৬২ - গণবিরোধী হামুদুর রহমান শিক্ষা কমিশনের রিপোর্টের বিরুদ্ধে পূর্ব বাংলায় ছাত্র আন্দোলন ও হরতাল পালিত হয়। ১৯৬৩ - জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে জেনিভা নিরস্ত্রিকরণ সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী যুক্তরাষ্ট্র আর সোভিয়েত ইউনিয়নসহ ১৭টি দেশের উত্থাপিত একটি প্রস্তাব অনুমোদিত হয়। এই প্রস্তাবে সকল দেশের উদ্দেশ্যে পরমাণু অস্ত্র অথবা অন্য যে কোনো গণ বিধ্বংসী অস্ত্র পৃথিবীর কক্ষপথে মোতায়েন না করার আহ্বান জানানো হয়। ১৯৭০ - জর্দান সেনা বাহিনী ফিলিস্তিনীদের উপর ব্যাপক গণহত্যা অভিযান শুরু করেছিল। ১৯৭২ - বাংলাদেশকে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয় হন্ডুরাস। ১৯৭৪ - বাংলাদেশ, গ্রানাডা এবং গিনি-বিসাউ জাতিসংঘে যোগদান করে। ১৯৮০ - নিকারাগুয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট আনাসতোসিও সমোজা দেবাইলি প্যারাগুয়েতে নিহত হন। ১৯৮০ - ইরানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শহীদ মোহাম্মাদ আলী রাজাই জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সম্মেলনে দেয়া ভাষণে তার দেশের ওপর ইরাকের ব্যর্থ সরকারের চাপিয়ে দেয়া যুদ্ধের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে বিশদ ব্যাখ্যা দেন। ১৯৮২ - হানাদার ইসরাইলী সেনারা লেবাননের সাবরা ও শাতিলা শরণার্থী শিবিরে আশ্রয়গ্রহণকারী নিরিহ ফিলিস্তিনীদের উপর ব্যাপক গণহত্যা চালায়। ১৯৮৩ - ভ্যানেসা উইলিয়াম প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ মিস আমেরিকান হন। ১৯৮৮ - সিউলে ১৬০টি দেশের অংশ গ্রহণে ২৪তম অলিম্পিক গেমসের উদ্বোধন হয়। ১৯৮৯ - যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোনির্য়া উত্তরাঞ্চলে প্রচন্ড ভূমিকম্প হয়। অনেক সড়ক আর সেতু এই ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত হয় । এই ভূমিকম্পে কমপক্ষে ২৭১ জনের মৃত্যু হয়। তা ছাড়া, দুর্গত এলাকায় কমপক্ষে ৫০০ জন আহত। ১৯৯১ ‌ - উন্মুক্ত সোর্সকোড ভিত্তিক কম্পিউটার অপারেটিং সিস্টেম লিনাক্স কার্নেলের প্রথম সংস্করণ (0.01 Version) ইন্টারনেটে প্রকাশিত হয়। ১৯৯১ - এস্তেনিয়া, লাতভিয়া, লিথুয়ানিয়া, উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়া, মাইক্রোনেশিয়া জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভ করে। ১৯৯৪ - চীনের শিনচিয়াংএর চিওহো প্রাচীন নগরে চীনের হ্যান রাজবংশের সমাধি সংগ্রহশালা আবিষ্কার করা হয়। ২০০৫ - দেশে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি থেকে বাণিজ্যিক ভাবে কয়লা উত্তোলন শরু। জন্ম ১৫৭৭ - ক্রিস্টফানো আলরি, তিনি ছিলেন ইতালীয় চিত্রশিল্পী। ১৭৭৪ - লালন, বাঙালি আধ্যাত্মিক বাউল সাধক, মানবতাবাদী, সমাজ সংস্কারক, দার্শনিক, অসংখ্য অসাধারণ গানের গীতিকার, সুরকার ও গায়ক। (মৃ.১৭/১০/১৮৯০) ১৮১৭ - সৈয়দ আহমদ খান, ভারতীয় উপমহাদেশের দার্শনিক ও রাজনীতিবীদ। (মৃ. ১৮৯৮) ১৮২৬ - বের্নহার্ট রিমান, বিখ্যাত জার্মান গণিতবিদ। ১৮৬৭ - গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুর, একজন ভারতীয় বাঙালী চিত্রশিল্পী, শিল্পরসিক এবং মঞ্চাভিনেতা। ১৮৭৮ - বার্লো কারকিক, অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার ও রাগবি খেলোয়াড়। (মৃ. ১৯৩৭) ১৮৮৯ - সাতকড়ি বন্দ্যোপাধ্যায়, ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের সংগ্রামী ও সশস্ত্র বিপ্লবী।(মৃ.০৬/০১/১৯৩৭) ১৮৯০ - রয় কিলনার, ইংরেজ ক্রিকেটার। (মৃ. ১৯২৮) ১৯০০ - জাঁ আর্থার, তিনি ছিলেন আমেরিকান অভিনেত্রী ও গায়িকা। ১৯১৫ - আর্থার মিলার, মার্কিন নাট্যকার, প্রাবন্ধিক এবং লেখক। (মৃ. ২০০৫) ১৯১৫ - মকবুল ফিদা হুসেন, অত্যন্ত জনপ্রিয় ভারতীয় চিত্রশিল্পী। ১৯১৭ - মার্টিন ডনেলি, নিউজিল্যান্ডীয় ক্রিকেটার। (মৃ. ১৯৯৯) ১৯১৮ - রিটা হেওয়ার্থ, মার্কিন অভিনেত্রী ও নৃত্যশিল্পী। (মৃ. ১৯৮৬) ১৯১৯ - ঝাও জিয়াং, চীনা রাজনীতিবিদ। (মৃ. ২০০৫) ১৯২০ - মন্টগামারি ক্লিফট, মার্কিন অভিনেতা। (মৃ. ১৯৬৬) ১৯২২ - হরিপদ কাপালী, বাংলাদেশী কৃষক, হরি ধানের উদ্ভাবক। (মৃ. ২০১৭) ১৯২৫ - ড. খালিদ মাহমুদ, পাকিস্তানি বিচারক ও দেওবন্দি ইসলামি পন্ডিত (মৃ. ২০০৫) ১৯৩৩ - উইলিয়াম অ্যান্ডার্স, তিনি হংকং বংশোদ্ভূত আমেরিকান জেনারেল ও মহাকাশচারী। ১৯৩৪ - জনি হেইন্স, ইংরেজ ফুটবলার। (মৃ. ২০০৫) ১৯৩৭ - পাক্সটন হোয়াইটহেড, তিনি ইংরেজ অভিনেতা। ১৯৪৪ - বিভু ভট্টাচার্য, বাঙালি অভিনেতা। ১৯৪৪ - রেইনহোল্ড মেসনার, ইতালিয়ান পর্বতারোহী এবং অভিযাত্রী। ১৯৪৭ - বৃন্দা কারাত, ভারতীয় রাজনীতিবিদ। ১৯৫০ - নরেন্দ্র মোদী, ভারতের ১৫দশ প্রধানমন্ত্রী। ১৯৫৫ - স্মিতা পাতিল, ভারতীয় চলচ্চিত্র, টেলিভিশন ও মঞ্চ অভিনেত্রী। (মৃ. ১৯৮৬) ১৯৬৫ - অরবিন্দ ডি সিলভা, শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটার। ১৯৭০ - অনিল কুম্বলে, ভারতীয় ক্রিকেটার ও কোচ। ১৯৭২ - ওয়াইক্লেফ জঁ, হাইতীয়-মার্কিন সঙ্গীতশিল্পী ও সঙ্গীত পরিচালক। ১৯৭৯ - মার্ক গিলেস্পি, নিউজিল্যান্ডীয় ক্রিকেটার। ১৯৮০ - মোহাম্মদ হাফিজ, পাকিস্তানি ক্রিকেটার। ১৯৯৪ - বেন ডাকেট, ইংরেজ ক্রিকেটার। মৃত্যু ১৫৮৬ - ফিলিপ সিডনি, তিনি ছিলেন ইংরেজ সভাসদ ও কবি। ১৬৬৫ - স্পেনের রাজা চতুর্থ ফিলিপ। ১৮৩৭ - জহান নেপমুক হুমেল, তিনি ছিলেন অস্ট্রিয়ান পিয়ানোবাদক ও সুরকার। ১৮৪৯ - ফ্রেদেরিক ফ্রান্সিস শোপাঁ, তিনি ছিলেন পোলিশ পিয়ানোবাদক ও সুরকার। ১৮৮৯ - রুশ সাহিত্যিক নিকোলাই চেরনিশেভস্কি মৃত্যুবরণ করেন। ১৮৯০ - লালন, বাঙালি আধ্যাত্মিক বাউল সাধক, মানবতাবাদী, সমাজ সংস্কারক, দার্শনিক, অসংখ্য অসাধারণ গানের গীতিকার, সুরকার ও গায়ক। (জ.১৭/১০/১৭৭৪) ১৯১৮ - গর্ডন হোয়াইট, দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটার। (জ. ১৯৮২) ১৯৩৩ - শৈলেন্দ্রচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, বাঙালি, ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের শহীদ বিপ্লবী। (জ. ১৯১৪) ১৯৩৪ - নোবেলজয়ী [১৯০৬] স্পেনীয় জীববিজ্ঞানী শান্তিয়াগো রামন হাই কাজাল মৃত্যুবরণ করেন। ১৯৩৭ - ক্ষিতীন্দ্রনাথ ঠাকুর, ঠাকুর পরিবারের আদি ব্রাহ্মসমাজের কর্মী ও লেখক।(জ.২৪/০৯/১৮৬৯) ১৯৪৮ - এমিল লুধউইক জার্মানীর খ্যাতনামা জীবনীকার। ১৯৫৪ - সত্যেন্দ্রনাথ মজুমদার বাঙালি লেখক ও সম্পাদক। (জ.১৮৯১) ১৯৫৮ - চার্লি টাউনসেন্ড, ইংরেজ ক্রিকেটার। (জ. ১৮৭৬) ১৯৬১ - আদনান মেন্দেরেস, তুরস্কের সাবেক প্রধানমন্ত্রী। ১৯৬৩ - জাক আদামার, ফরাসি গণিতবিদ। (জ. ১৮৬৫) ১৯৬৪ - নরেশচন্দ্র সেনগুপ্ত, সাহিত্যিক। ১৯৬৯ - চীনের ছিং রাজবংশের শেষ রাজা ফুই চিকিৎসার ব্যর্থতায় মারা যান। ১৯৭৭ - উইলিয়াম টলবোট, ইংরেজ উদ্ভাবক ও ফটোগ্রাফির পুরোধা। ১৯৮৩ - ফ্রান্সের বিশিষ্ট সমাজবিজ্ঞানী রেমন্ড এ্যারন মৃত্যুবরণ করেন। ১৯৮৭ - আব্দুল মালেক উকিল, বাংলাদেশী আইনজীবী এবং রাজনীতিবিদ। (জ. ১৯২৪) ১৯৯১ - টেনেসি এরনিএ ফোর্ড, তিনি ছিলেন আমেরিকান গায়ক ও অভিনেতা। ১৯৯৩ - সাংবাদিক এস এম আলী মৃত্যুবরণ করেন। ১৯৯৭ - কার্লোস এস্কালেরাস, হন্ডুরীয় রাজনীতিবিদ ও পরিবেশবাদী। (জ. ১৯৫৮) ১৯৯৮ - হাকিম সাইদ, তিনি ছিলেন পাকিস্তানি পণ্ডিত ও রাজনীতিবিদ। ২০১২ - হেনরি ফ্রিডলাডের, তিনি ছিলেন জার্মান বংশোদ্ভূত আমেরিকান ইতিহাসবিদ ও লেখক। ২০১২ - আলেক্সান্দ্র কশক্যন, তিনি ছিলেন রাশিয়ান মুষ্টিযোদ্ধা। ছুটি ও অন্যান্য বিশ্ব ট্রমা দিবস ৷ আন্তর্জাতিক দারিদ্র বিমোচন দিবস। ঐতিহাসিক শিক্ষা দিবস৷ বিশ্ব সাইক্লিং দিবস। বহিঃসংযোগ বিষয়শ্রেণী:গ্রেগরীয় পঞ্জিকার দিন বিষয়শ্রেণী:অক্টোবর
১৭ অক্টোবর
ঘটনাবলী ১৭৬২ - ফ্রেইবার্গে দ্বিতীয় ফ্রেডেরিকের নেতৃত্বে প্রুশীয়দের কাছে অষ্টয়দের পরাজয় ঘটে। ১৮৫১ - ‘ব্রিটিশ ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন অব বেঙ্গল’ প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৮৭৬ - কেশবচন্দ্র সেনের উদ্যোগে ইন্ডিয়ান রিফর্ম অ্যাসোসিয়েশন প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৮৮৮ - কনস্টানটিনোপল চুক্তি অনুযায়ী সুয়েজ খাল অবরোধ মুক্ত হয়। ১৮৮৯ - ব্রিটিশ দক্ষিণ আফ্রিকা কম্পানি কার্যক্রমের সনদপত্র পায়। ১৯২০ - জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া, ভারতের জাতীয় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় আলিগড়ে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯২৩ - ঐতিহাসিক ওসমানী সাম্রাজ্যের (১২৯৯ - ১৯২৩) বিলুপ্তি ঘটিয়ে মুস্তাফা কামাল আতাতুর্ক ধর্মনিরপেক্ষ প্রজাতন্ত্র হিসেবে “তুরস্ক” রাষ্ট্রের পত্তন ঘটান। ১৯২৫ - সুইজারল্যছঅন্ডের লোকোর্নোয় ১২ দিন ব্যাপী বৈঠকে লোর্কোন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ১৯৬৪ - টাঙ্গানিকা ও জাঞ্জিবারের একত্রীভূত নাম ঘোষিত হয় তাঞ্জানিয়া। ১৯৭৪ - সালের এই দিনে জর্জ ফোর ম্যানকে পরাজিত করে মোহাম্মাদ আলী ক্লে শ্রেষ্ঠ বিশ্ব মুষ্টিযোদ্ধা খেতাব অর্জন করেন। ২০০৬ - রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ বাংলাদেশের তত্ত্বাবধ্যায়ক সরকারের প্রধান হিসেবে দ্বায়িত্ব গ্রহণ করেন। জন্ম ১৮৭৭ - উইলফ্রেড রোডস, তিনি ছিলেন ইংরেজ ক্রিকেটার ও কোচ। ১৮৭৯ - ফ্রাঞ্জ ভন পাপেন, তিনি ছিলেন জার্মান সৈনিক,রাজনীতিবিদ ও চ্যান্সেলর। ১৮৮২ - জাঁ গিরাউডউক্স, তিনি ছিলেন ফরাসি লেখক ও নাট্যকার। ১৮৯৭ - হিটলারের সহযোগী ও প্রচারক গোয়েবলস জন্ম গ্রহণ করেন। ১৯০৫ - হেনরি গ্রীন, তিনি ছিলেন ইংরেজ লেখক। ১৯১১ - অনাথবন্ধু পাঁজা, ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের শহীদ বিপ্লবী।(ম.০২/০৯/১৯৩৩) ১৯১৮ - কবি তালিম হোসেন জন্ম গ্রহণ করেন। ১৯২০ - বারুজ বেনাসেরাফ, তিনি ছিলেন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ভেনেজুয়েলার বংশোদ্ভূত আমেরিকান ঔষধ আবিষ্কারক। ১৯৩৫ - ইসাও টাকাহাটা, তিনি জাপানি পরিচালক, প্রযোজক ও চিত্রনাট্যকার। ১৯২৬ - নাজমউদ্দিন এরবাকান, তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী। ১৯৪১ - মতিউর রহমান (বীরশ্রেষ্ঠ), বাংলাদেশের একজন শহীদ মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৪৭ - রবার্ট সার্ভিস, ইংরেজ ঐতিহাসিক। ১৯৬৪ - ইয়াসমিন লে বন, তিনি ইংরেজ মডেল। ১৯৭১ - ম্যাথু হেডেন, তিনি অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার। ১৯৮১ - রীমা সেন, তিনি ভারতীয় অভিনেত্রী। মৃত্যু ১২৬৮ - কনরাডিন, তিনি ছিলেন ইতালিয়ান রাজা। ১৭৮৩ - জাঁ লে রন্ড ডি’আলেম্বেরট, তিনি ছিলেন ফরাসি গণিতবিদ, পদার্থবিদ ও দার্শনিক। ১৯১০ - কালীপ্রসন্ন ঘোষ,বাঙালি সাহিত্যিক, সাংবাদিক ও বাগ্মী।(জ.২৩/০৭/১৮৪৩) ১৯১১ - জোসেফ পুলিৎজার, তিনি ছিলেন হাঙ্গেরিয়ান বংশোদ্ভূত আমেরিকান প্রকাশক, আইনজীবী ও রাজনীতিক। ১৯৩৩ - ফ্রান্সের পল পাইনলেভে, তিনি ছিলেন ফরাসি গণিতবিদ ও রাজনীতিবিদ, ৮৪ তম প্রধানমন্ত্রী। ১৯৪৯ - জর্জ গার্দিজিয়েফ, তিনি ছিলেন আর্মেনিয় ফরাসি সন্ন্যাসী, মনোবৈজ্ঞানিক ও দার্শনিক। ১৯৭১ - আর্নে ভিলহেল্ম কাউরিন টিসেলিয়ুস, তিনি ছিলেন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী সুইডিশ প্রাণরসায়নী। ১৯৮৬ - মিমিস ফোটোপুলোস, তিনি ছিলেন গ্রিক অভিনেতা, গায়ক ও একাডেমিক। ১৯৮৮ - কমলাদেবী চট্টোপাধ্যায় ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামী ও সমাজ সংস্কারক।(জ.০৩/০৪/১৯০৩) ১৯৯৮ - ব্রিটিশ কবি টেড হিউজ মৃত্যুবরণ করেন। ১৯৯৯ - গ্রেগ, তিনি ছিলেন বেলজিয়ান লেখক ও চিত্রকর। ২০১৩ - শেখ সালাহউদ্দিন আহমেদ, তিনি ছিলেন বাংলাদেশী ক্রিকেটার। ২০১৩ - গ্রাহাম স্টার্ক, তিনি ছিলেন ইংরেজ অভিনেতা, পরিচালক, প্রযোজক ও চিত্রনাট্যকার। ছুটি ও অন্যান্য বহিঃসংযোগ বিষয়শ্রেণী:গ্রেগরীয় পঞ্জিকার দিন বিষয়শ্রেণী:অক্টোবর বিষয়শ্রেণী:অসম্পূর্ণ দিনতারিখ
২৯ অক্টোবর
right|thumb|220px|নিউ ইয়র্কে অবস্থিত জাতিসংঘ বা রাষ্ট্রসঙ্ঘের সদরদপ্তর জাতিসংঘ (অপর নাম: রাষ্ট্রসংঘ) বিশ্বের জাতিসমূহের একটি সংগঠন, যার লক্ষ্য হলো আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আইন, নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, সামাজিক অগ্রগতি এবং মানবাধিকার বিষয়ে পারস্পরিক সহযোগিতার পরিবেশ সৃষ্টি করা। ১৯৪৫ সালে ৫১টি রাষ্ট্র জাতিসংঘ বা রাষ্ট্রসঙ্ঘ সনদ স্বাক্ষর করার মাধ্যমে জাতিসংঘ বা রাষ্ট্রসঙ্ঘ প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি ১৯২০ সালে প্রতিষ্ঠিত এবং পরবর্তীতে লুপ্ত লীগ অব নেশন্সের স্থলাভিষিক্ত হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষে বিজয়ী মিত্রশক্তি পরবর্তীকালে যাতে যুদ্ধ ও সংঘাত প্রতিরোধ করা যায়— এই উদ্দেশ্যে জাতিসংঘ বা রাষ্ট্রসঙ্ঘ প্রতিষ্ঠা করতে উদ্যোগী হয়। তখনকার বিশ্ব রাজনীতির পরিস্থিতি জাতিসংঘের বা রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাংগঠনিক কাঠামোতে এখনও প্রতিফলিত হচ্ছে। জাতিসংঘ বা রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের ৫টি স্থায়ী সদস্য (যাদের ভেটো প্রদানের ক্ষমতা আছে) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, রাশিয়া ও গণচীন হলো দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বিজয়ী দেশ। অক্টোবর, ২০১৬ সালের হিসাব অনুযায়ী জাতিসংঘ বা রাষ্ট্রসঙ্ঘের সদস্য রাষ্ট্রের সংখ্যা ১৯৩ সদস্য। এর সদর দপ্তর যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক শহরে অবস্থিত। সাংগঠনিকভাবে জাতিসংঘ বা রাষ্ট্রসঙ্ঘের প্রধান অঙ্গ সংস্থাগুলো হলো - সাধারণ পরিষদ, নিরাপত্তা পরিষদ, অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদ, সচিবালয়, ট্রাস্টিশীপ কাউন্সিল এবং আন্তর্জাতিক আদালত। এছাড়াও রয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ইউনেস্কো, ইউনিসেফ ইত্যাদি। জাতিসংঘ বা রাষ্ট্রসঙ্ঘের প্রধান নির্বাহী হলেন এর মহাসচিব। ২০১৭ সালের ১লা জানুয়ারি তারিখ থেকে মহাসচিব পদে রয়েছেন পর্তুগালের নাগরিক রাজনীতিবিদ ও জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্টোনিও ম্যানুয়েল দে অলিভেইরা গুতারেস। সদস্যরাষ্ট্র thumb|center|500px|বিশ্ব মানচিত্রে জাতিসংঘ বা রাষ্ট্রসঙ্ঘের সদস্য রাষ্ট্রসমূহ (নীল বর্ণে চিহ্নিত) ২০১৬ সালের তথ্যানুসারে জাতিসংঘ বা রাষ্ট্রসঙ্ঘের সদস্য সংখ্যা ১৯৩। বিশ্বের প্রায় সব স্বীকৃত রাষ্ট্রই এর সদস্য। তবে উল্লেখযোগ্য ব্যতিক্রম হলো তাইওয়ান (প্রজাতন্ত্রী চীন), ভ্যাটিকান সিটি। এছাড়াও, অন্যান্য কিছু অস্বীকৃত এলাকার মধ্যে রয়েছে ট্রান্সনিস্ট্রিয়া ও উত্তর সাইপ্রাসের তুর্কি প্রজাতন্ত্র। জাতিসংঘ বা রাষ্ট্রসঙ্ঘে যোগদানকারী সর্বশেষ সদস্য রাষ্ট্র হলো দক্ষিণ সুদান (২০১১ সালের ১৪ জুলাই, ১৯৩তম) যোগদান করে। সদর দপ্তর right|thumb|নিউইয়র্ক শহরে জাতিসংঘ বা রাষ্ট্রসঙ্ঘের সদর দপ্তর। জাতিসংঘ বা রাষ্ট্রসঙ্ঘের সদর দপ্তর যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরে অবস্থিত। এটি ১৬ একর জমিতে ১৯৪৯হতে ১৯৫০ সালের মধ্যে নির্মাণ করা হয়। ভবনটি ইস্ট নদীর তীরে অবস্থিত। সদর দপ্তর স্থাপনের জমি কেনার জন্য জন ডি রকফেলার জুনিয়র ৮.৫ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করেন। তিনি জাতিসংঘ বা রাষ্ট্রসঙ্ঘকে এই জমি দান করেন। সদর দপ্তরের মূল ভবনটির নকশা প্রণয়ন করেন - লে করবুসিয়ে, অস্কার নিয়েমেয়ারসহ আরো অনেক খ্যাতনামা স্থপতি। নেলসন রকফেলারের উপদেষ্টা ওয়ালেস কে হ্যারিসন এই স্থপতি দলের নেতৃত্ব দেন। আনুষ্ঠানিকভাবে সদর দপ্তরের উদ্বোধন হয় ১৯৫১ সালের ৯ই জানুয়ারি তারিখে। সদর দপ্তর নিউইয়র্কে হলেও জাতিসংঘ বা রাষ্ট্রসঙ্ঘের বেশ কিছু অঙ্গ সংগঠনের প্রধান কার্যালয় সুইজারল্যান্ডের জেনেভা, নেদারল্যান্ডের দ্য হেগ, অষ্ট্রিয়ার ভিয়েনা, কানাডার মন্ট্রিল, ডেনমার্কের কোপেনহাগেন, জার্মানীর বন ও অন্যত্র অবস্থিত। জাতিসংঘ বা রাষ্ট্রসঙ্ঘের সদর দপ্তরের ঠিকানা হল - 760 United Nations Plaza, New York City, NY 10017, USA নিরাপত্তার খাতিরে এই ঠিকানায় প্রেরিত সকল ধরনের চিঠিপত্র পরীক্ষণ-নিরীক্ষণসহ জীবাণুমুক্ত করা হয়। জাতিসংঘ বা রাষ্ট্রসঙ্ঘের সদর দপ্তরের পুরানো ভবনের সংস্কার কার্য উপলক্ষে ম্যানহাটানের ফার্স্ট অ্যাভিনিউতে ফুমিহিকো মাকি’র নকশায় অস্থায়ী দপ্তর নির্মাণ করা হচ্ছে। ১৯৪৯সালের আগে পর্যন্ত লন্ডন ও নিউইয়র্কের বিভিন্ন স্থানে জাতিসংঘ বা রাষ্ট্রসঙ্ঘের কার্যালয়ের অবস্থান ছিল। ভাষা thumb|150px|রাষ্ট্রসঙ্ঘের মহাসচিব বান কি মুন(১লা জানুয়ারি ২০০৭-৩১শে ডিসেম্বর ২০১৬) জাতিসংঘ বা রাষ্ট্রসঙ্ঘের ছয়টি দাপ্তরিক ভাষা হলো আরবি, চীনা, ইংরেজি, ফরাসি, রুশ, এবং স্পেনীয় ভাষা। জাতিসংঘ বা রাষ্ট্রসঙ্ঘের সচিবালয়ে যে দুটি ভাষা ব্যবহৃত হয় তা হলো ইংরেজি ও ফরাসি। জাতিসংঘ বা রাষ্ট্রসঙ্ঘের দাপ্তরিক ভাষাগুলোর মধ্যে ইংরেজি ৫৪টি সদস্য দেশের সরকারি ভাষা। ফরাসি হলো ২৯টি দেশের, আরবি ২৪টি দেশের, স্পেনীয় ২১টি দেশের, রুশ ১০টি দেশের, এবং চীনা ভাষা ৪টি দেশের সরকারি ভাষা। এছাড়াও জাতিসংঘে কিছু প্রস্তাবিত দাপ্তরিক ভাষা হলো বাংলা, হিন্দি, জার্মান, পর্তুগিজ, মালয়, তুর্কি, জাপানি, সোয়াহিলি ইত্যাদি । প্রাসঙ্গিক নিবন্ধসমূহ জাতিসংঘের সদস্য দেশ মহাসচিব জাতিসংঘ বা রাষ্ট্রসঙ্ঘের প্রধান হিসেবে রয়েছেন মহাসচিব। জাতিসংঘ সনদের ৯৭ অনুচ্ছেদ মোতাবেক মহাসচিবকে “প্রধান প্রশাসনিক কর্মকর্তা” হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। ঐ সনদে আরো বলা হয়েছে যে, মহাসচিব যে-কোন বিশ্ব শান্তিভঙ্গের আশঙ্কা ও নিরাপত্তার খাতিরে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের লক্ষ্যে নিরাপত্তা পরিষদে প্রস্তাব আনতে পারবেন। মহাসচিব পদটি দ্বৈত ভূমিকার অধিকারী - জাতিসংঘ বা রাষ্ট্রসঙ্ঘের প্রশাসক এবং কুটনৈতিক ও মধ্যস্থতাকারী হিসেবে। নিরাপত্তা পরিষদের সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুসারে জাতিসংঘ বা রাষ্ট্রসঙ্ঘ সাধারণ পরিষদ মহাসচিব নিযুক্ত করেন। পদের মেয়াদ সম্পর্কে নির্দিষ্ট কোন নীতিমালা নেই। কিন্তু পূর্ব থেকেই এক বা দুই মেয়াদে ৫ বছরের জন্য ভৌগোলিক চক্রাবর্তে মহাসচিব পদে মনোনীত করার বিধান চলে আসছে। শুভেচ্ছা দূত জাতিসংঘ বা রাষ্ট্রসঙ্ঘ তার সদস্যভূক্ত দেশগুলোর মাঝে নির্দিষ্ট লক্ষ্য, উদ্দেশ্য, পরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে শুভেচ্ছা দূত নিয়োগ করে থাকে। শুভেচ্ছা দূতের মধ্যে - বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় নেতা, খেলোয়াড়, চলচ্চিত্র তারকা প্রমুখ পেশাজীবিদেরকে সম্পৃক্ত করা হয়। জাতিসংঘ বা রাষ্ট্রসঙ্ঘ শান্তি বার্তাবাহক, খাদ্য ও কৃষি সংস্থা, এইচআইভি ও এইডস্‌ কর্মসূচী, পরিবেশ কার্যক্রম, ইউএনডিপি, ইউনেস্কো, ইউনোডিসি, ইউএনএফপিএ, জাতিসংঘ বা রাষ্ট্রসঙ্ঘ মানবাধিকার কমিশন, ইউনিসেফ, ইউনিডো, ইউনিফেম, বিশ্ব খাদ্য সংস্থা, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রমূখ প্রতিষ্ঠান বা সংস্থাগুলো তাদের কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য শুভেচ্ছা দূত হিসেবে সময়ে সময়ে বিখ্যাত ব্যক্তিত্বকে নিয়োগ করে থাকে। আরও দেখুন জাতিসংঘের মহাসচিব জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ জাতিসংঘ বা রাষ্ট্রসংঘের বাংলা ওয়েবসাইট বিষয়শ্রেণী:জাতিসংঘ বিষয়শ্রেণী:১৯৪৫-এ প্রতিষ্ঠিত বিষয়শ্রেণী:নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী সংস্থা বিষয়শ্রেণী:১৯৪৫-এ প্রতিষ্ঠিত সংগঠন
জাতিসংঘ
স্ট্রেঞ্জ কেস অব ডক্টর জেকিল অ্যান্ড মিস্টার হাইড (Strange Case of Dr. Jekyll and Mr. Hyde) হল স্কটিশ লেখক রবার্ট লুইস স্টিভেনসন রচিত রহস্য উপন্যাসিকা। এটি ১৮৮৬ সালে প্রথম প্রকাশিত হয়। লন্ডনের আইনজীবী গ্যাব্রিয়েল জন আটারসন তার পুরনো বন্ধু ডক্টর হেনরি জেকিল ও তার অশুভ সত্তা এডওয়ার্ড হাইডের মধ্যকার অদ্ভুত ঘটনাবলির তদন্ত এই উপন্যাসিকার উপজীব্য বিষয়। উপন্যাসিকাটির প্রভাব এতটাই যে এটি ইংরেজি ভাষার অংশ হয়ে ওঠে, এবং "জেকিল অ্যান্ড হাইড" শব্দগুচ্ছ দিয়ে এমন কোন ব্যক্তিকে বোঝানো হয় যার দ্বৈত সত্তা রয়েছে, সাধারণত খুব ভালো কিন্তু মাঝে মাঝে অপ্রত্যাশিত রকমের মন্দ। কাহিনি সংক্ষেপ ডাক্তার জেকিল নিজের ব্যবহারের জন্য একটি ঔষধ আবিষ্কার করতে সক্ষম হন যেটি ব্যবহার করলে তিনি বিপরীত চরিত্রের একজন মানুষে পরিণত হয়ে যাবেন অর্থাৎ তার মনের যেসব খারাপ দোষ রয়েছে সেগুলো মুখ্য হয়ে উঠবে এবং তিনি সেভাবেই ইচ্ছা অনুযায়ী কিয়াজ করবেন। আবার আর একটি ঔষধ প্রয়োগ করে তিনি স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরত আসতে পারবেন। এভাবেই ডাক্তার তার মধ্যকার ভালো এবং মন্দ এই দুটো স্বভাবকে নিয়ে একই দেহের ভিতর দুটি মানুষকে লালন পালন করতে শুরু করলেন। তিনি খারাপ মানুষটির নাম দিলেন মিস্টার হাইড। এই রকম ভাবে তিনি দিনের বেলায় ডক্টর জেকিল এবং রাতে মিস্টার হাইড হয়ে জীবন যাপন করতে থাকেন। এক সময় এমন পরিস্থিতি হলো যে তিনি না চাইলেও মিস্টার হাইডে রূপান্তরিত হতে লাগলেন। দেখা গেলো যে তার দ্বিতীয় ঔষধ যা প্রয়োগ করে তিনি মিস্টার হাইড থেকে ডক্টর জেকিল হতেন তা আর কাজ করছে না। ফলে তার মনুষ্যত্বের বদলে পশুত্ব স্থায়ী হতে লাগল। এরই মধ্যে মিস্টার হাইড খুন করে বসলেন এক লোককে। তার মধ্যেকার আত্মগ্লানি থেকে রক্ষা পেতে আত্মহত্যা করলেন ডক্টর জেকিল। তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ ইন্টারনেট আর্কাইভ থেকে Strange Case of Dr Jekyll and Mr Hyde। Many antiquarian illustrated editions. ver.1 ইন্টারনেট আর্কাইভে 1950 Theatre Guild on the Air radio adaptation বিষয়শ্রেণী:১৮৮৬-এর ব্রিটিশ উপন্যাস বিষয়শ্রেণী:১৮৮৬-এর বিজ্ঞান কল্পকাহিনিমূলক উপন্যাস বিষয়শ্রেণী:ব্রিটিশ উপন্যাসিকা বিষয়শ্রেণী:ব্রিটিশ গথিক উপন্যাস বিষয়শ্রেণী:ভিক্টোরীয় উপন্যাস বিষয়শ্রেণী:রহস্য উপন্যাস বিষয়শ্রেণী:কমিকসে উপযোগকৃত উপন্যাস বিষয়শ্রেণী:চলচ্চিত্রে অভিযোজিত ব্রিটিশ উপন্যাস বিষয়শ্রেণী:টেলিভিশন অনুষ্ঠানে উপযোগকৃত ব্রিটিশ উপন্যাস বিষয়শ্রেণী:বেতার অনুষ্ঠানে উপযোগকৃত ব্রিটিশ উপন্যাস বিষয়শ্রেণী:মঞ্চনাটকে উপযোগকৃত ব্রিটিশ উপন্যাস বিষয়শ্রেণী:লন্ডনের পটভূমিতে উপন্যাস
স্ট্রেঞ্জ কেস অব ডক্টর জেকিল অ্যান্ড মিস্টার হাইড
right|thumb|220px|জর্জ ওয়াশিংটনের ছবি যুক্ত ১ ডলারের নোট মার্কিন ডলার (মুদ্রা প্রতীক: $; ব্যাংক কোড: USD) হল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরকারী মুদ্রার নাম। এর কাগুজে নোটের নকশা অনুযায়ী একে চলতি ভাষায় 'গ্রীন বাক' হিসেবেও অভিহিত করা হয়ে থাকে। এর সাংকেতিক চিহ্ন $, তবে অন্যান্য দেশের ডলার নামক মুদ্রা থেকে আলাদা করার জন্য একে আন্তর্জাতিক দলিলাদিতে US$ লেখা হয়। এর এক শতাংশের নাম সেন্ট। ১ ডলার ১০০ সেন্ট এর সমতূল্য। ইতিহাস মার্কিন কংগ্রেস ১৭৮৫ খ্রিষ্টাব্দে এটি প্রবর্তন করে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বিশ্ব মুদ্রা বাজারে এটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ‘হার্ড কারেন্সি’ হিসেবে পরিগণিত। ১৯৭৪ খ্রিষ্টাব্দ থেকে বাংলাদেশের টাকা (BDT) মার্কিন ডলারে পেগড্‌। বাংলা টাকায় ০.৮৭ পয়সা সমান ১ সেন্ট (২০১৬, ১ নভেম্বর)। আন্তর্জাতিক ভূমিকা এটি বর্তমানে বিশ্বের সর্বাধিক প্রচলিত মুদ্রা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও আরও কিছু দেশ ডলারকে সরকারী মুদ্রা হিসাবে ব্যবহার করে। মার্কিন ডলারের আন্তর্জাতিক ব্যবহার দ্বিবিধ। প্রথমতঃ এটি আন্তর্জাতিক দেনা-পাওনা মেটানোর মুদ্রা। দ্বিতীয়তঃ এটি বহুল প্রচলিত একটি রিজার্ভ কারেন্সী। তবে ইউরো প্রচলনের পর থেকে মার্কিন ডলারের ভূমিকা ধীরে ধীরে হ্রাস পেতে শুরু করে। ১৯৯৫ খ্রিষ্টাব্দের হিসাব অনুযায়ী, বাজারে $৩৮০ বিলিয়ন (৩৮ হাজার কোটি) ডলার চালু আছে, যার দুই-তৃতীয়াংশই যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে চালু। ২০০৫ খ্রিষ্টাব্দ নাগাদ এর পরিমাণ দ্বিগুন হয়ে $৭৬০ বিলিয়নে (৭৬ হাজার কোটি) পৌঁছেছে। এর অর্ধেকই রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে। 220px|right|thumb|১৯১৭সালের $১ মার্কিন ডলার এর নোট টীকা বহিঃসংযোগ U.S. Bureau of Engraving: Banknotes U.S. Mint: Image Library মার্কিন ডলার (কাগজের টাকা) বিষয়শ্রেণী:মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রা বিষয়শ্রেণী:মুদ্রা
মার্কিন ডলার
thumb|200px|বজ্রপাত হল বিদ্যুতের অন্যতম একটি রূপ তড়িৎ বা বিদ্যুৎ হল এক প্রকার শক্তি যা তড়িৎ আধানের স্থিতি বা গতির ফলস্বরূপ সৃষ্টি হয়। চুম্বকত্বের সাথে মিলিত হয়ে এটি একটি মৌলিক ক্রিয়ার জন্ম দেয় যার নাম হল তড়িৎ চুম্বকত্ব। অনেক গাঠনিক ও বাহ্যিক ঘটনার জন্য তড়িৎ দায়ী। যেমন: বজ্রপাত, তড়িৎ ক্ষেত্র, তড়িৎ প্রবাহ ইত্যাদি। অনেক শিল্প কারখানায় এবং ব্যবহারিক জীবনে এগুলোর প্রভাব বিদ্যমান। ইলেক্ট্রনিক্স এবং তড়িৎ ক্ষমতা এর উৎকৃষ্ট উদাহরণ। ইতিহাস তড়িৎ সম্পর্কে মানুষের জ্ঞান হবার আগে মানুষ ইল মাছের শক সম্পর্কে অবগত ছিল। ১৬০০ সালে ইংরেজ বিজ্ঞানী উইলিয়াম গিলবার্ট সর্বপ্রথম তড়িৎ ও চুম্বকত্ত সম্পর্কে অভিমত প্রকাশ করেন। পরবর্তীকালে আমেরিকান চিন্তাবিদ বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন পরীক্ষার মাধ্যমে প্রমাণ করেন যে, বজ্রপাত হল বিদ্যুতের একটি বিশেষ রূপ। পরবর্তীকালে মাইকেল ফ্যারাডে, জর্জ ওহম প্রভৃতি বিজ্ঞানীর গবেষণায় তড়িৎ এর বিভিন্ন ধর্ম সম্পর্কে মানুষ অবগত হয়। thumb|100px|left|বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন আঠারো শতকে বিদ্যুতের উপর বিস্তারিত গবেষণা করেন তড়িৎ আধান প্রত্যেক পদার্থ অতি ক্ষুদ্র কণা দ্বারা গঠিত, এদেরকে পরমাণু বলে। প্রত্যেক পদার্থের পরমাণু আবার নিউক্লিয়াসের চারদিকে ঘুর্ণায়মান ইলেকট্রন দ্বারা গঠিত। পদার্থ সৃষ্টিকারী মৌলিক কণাসমূহের মৌলিক ও বৈশিষ্ট্যমূলক ধর্মকেই তড়িৎ আধান বলে। C.G.S. পদ্ধতিতে, দুটি সমপরিমাণ বিন্দু আধানকে শূন্যস্থানে কিংবা বায়ু মাধ্যমে এক সেমি দূরে রাখলে যদি এরা পরস্পরের ওপর এক ডাইন বল প্রয়োগ করে, তবে প্রতিটি বিন্দু-আধান কে একক আধান বলা হয়। এর SI একক - কুলম্ব(C) ও CGS একক -স্ট্যাটকুলম্ব বা esu(electroStatic unit)। এছাড়াও রয়েছে অ্যাবকুলম্ব বা emu (electromagnetic unit)। যেখানে -- 1 emu = 10 C = 3×10^10 esu সুতরাং 1 কুলম্ব = 3× 10^9 স্ট্যাটকুলম্ব তড়িৎ আধানকে q দ্বারা প্রকাশ করলে - স্থির তাড়িতিক আকর্ষণ বা বিকর্ষণ বল (F)=(1/4πε)q1•q2/r² [যেখানে কুলম্বের ধ্রুবক K = 1/4πε, ε = তড়িৎ ভেদ্যতা(permittivity), q1, q2 = দুটি বিন্দু তড়িৎ আধান ও r = বিন্দুদ্বয়ের মধ্যবর্তী সরলরৈখিক দূরত্ব S.I. পদ্ধতিতে ε = 8.85×10–¹² C²/N•M² ও K = 1 dyne•cm/esu² (CGS) = 9 ×10^9 N•m²/C²(SI) ] তড়িৎ বিভব তড়িৎ বিভব হল তড়িদাহিত বস্তুর এমন একটি অবস্থা যা থেকে বোঝা যায় ঐ বস্তুর সাথে অন্য কোন বস্তুর সংযোগ ঘটালে আধানটি কোন বস্তু থেকে কোন বস্তুটির দিকে যাবে। অসীম দূরত্ব থেকে একক ধনাত্মক আধানকে তড়িৎক্ষেত্রের কোনো বিন্দুতে আনতে যে কার্য করতে হয়, তাকে তড়িৎ বিভব(electric potential) বলে। একে V দ্বারা প্রকাশ করলে - V = W/Q., যেখানে W = কৃতকার্য ও Q = আধান এর SI একক - ভোল্ট ও CGS এ- স্ট্যাটভোল্ট 300 স্ট্যাটভোল্ট =1 ভোল্ট=10^8 অ্যাবভোল্ট এটি একটি স্কেলার রাশি। একে ভোল্টমিটারে মাপা হয়। এর মাত্রা [ML²T–³I–¹] এখন ধনাত্মক ক্ষেত্র থেকে ঋণাত্মক ক্ষেত্রে যেতে একক আধানের কৃতকার্যকে বিভবপ্রভেদ বললে, ঋণাত্মক ক্ষেত্র থেকে ধনাত্মক ক্ষেত্রে একক আধানের কৃতকার্যকে তড়িৎচালক বল (EMF) বলে। একে পোটেনশিওমিটার দ্বারা মাপা যায়। এটি বিভবপ্রভেদ সৃষ্টির কারণ। এর মাধ্যমে তড়িৎ শক্তি সৃষ্টি হয় ও বিভবপ্রভেদ তাকে অন্য শক্তিতে রূপান্তরিত করে। তড়িৎ প্রবাহমাত্রা কোন ধাতব পরিবাহীর যে কোন প্রস্থচ্ছেদ দিয়ে যে অতিক্রান্ত তড়িৎ আধানকে তড়িৎ প্রবাহ বলে। এই তড়িৎ প্রবাহের হারকে তড়িৎ প্রবাহ মাত্রা(CURRENT) বলে। এটি দুই প্রকার যথা - 1) সম প্রবাহ(DC)- প্রবাহ একমুখী 2) পরিবর্তী প্রবাহ(AC)- নির্দিষ্ট সময় অন্তর দিক পরিবর্তন ঘটে। কিন্তু ভেক্টরের যোগ সূত্র না মানায় এটি স্কেলার রাশি। একে I দ্বারা প্রকাশ করলে - I = Q/t, যেখানে Q = আধান, t = সময় এর SI একক- অ্যাম্পিয়ার(A) ও CGS একক- স্ট্যাটঅ্যাম্পিয়ার। এছাড়াও আছে অ্যাবঅ্যাম্পিয়ার। 1 A = 10 emu তড়িৎ শক্তি তড়িৎ ক্ষমতা তড়িতের আন্তর্জাতিক একক এম্পিয়ার (A) তড়িতের আন্তর্জাতিক একক এম্পিয়ার(A) বহিঃসংযোগ মেরিয়াম ওয়েবস্টারে তড়িৎ Tyndall: Faraday as Discovery: Identity of Electricities US Energy Department Statistics Read Congressional Research Service (CRS) Reports regarding Electricity How to save on your electricity bills Electricity around the world A Comprehensive Collection of Franklin’s Electrical Works: The Electrical Writings of Benjamin Franklin, Created and Collected by Robert A. Morse (2004) Understanding Electricity and some Electronics in 10 minutes(Steve Rose, Maui) Electricity Misconceptions Electricity and Magnetism Electricity and electrical installation guide বিষয়শ্রেণী:তড়িৎ
তড়িৎ
সুলতানা রাজিয়া (১২০৫ - ১২৪০) (ফার্সি / উর্দূ: رضیہ سلطانہ) সুলতান ইলতুতমিশের কন্যা ও ভারতবর্ষের প্রথম মহিলা শাসক। তিনি একাধারে একজন ভাল প্রসাশক ও সেনাপতি ছিলেন; তাছাড়া যুদ্ধক্ষেত্রে একজন দক্ষ সৈন্য হিসেবে তার পরিচিতি ছিল। সুলতান ইলতুতমিশের সবথেকে যোগ্য পুত্র সুলতানের জীবদ্দশায় মৃত্যু বরণ করলে সুলতান তার কন্যা রাজিয়া কে দিল্লির শাসক হিসেবে মনোনিত করে যান। যখনই ইলতুতমিশের রাজধানী ছাড়তে হত, তিনি তখন তার কন্যা রাজিয়াকে শাসনভার বুঝিয়ে দিয়ে যেতেন। রাজিয়া ছিলেন সুলতানের জ্যেষ্ঠা কন্যা, বুদ্ধিমতী ও যুদ্ধবিদ্যায় পটু। সুলতান ইলতুতমিশের মৃত্যুর পর তার আরেক পুত্র রোকনুদ্দিন ফিরোজ দিল্লির শাসন কেড়ে নেন এবং প্রায় সাত মাসের মত শাসন করেণ। ১২৩৬ সালে দিল্লির জনগনের সাহায্য নিয়ে রাজিয়া সুলতানা তার ভাইকে অপসারণ করে ক্ষমতায় আরোহণ করেন। শাসনকার্য রাজিয়া সুলতানা সম্রাজ্যে শান্তি শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনেন। শাসনকার্য দৃঃঢ় ভাবে পালন করার জন্য তিনি নারীত্বের আবরণ পরিত্যাগ করে, পুরুষের পোশাক গ্রহণ করেণ। এই পোশাকে তিনি জনসম্মুখে, প্রশাসনে ও যুদ্ধক্ষেত্রে আসতেন। ব্যক্তিগত কর্মকর্তা হিসেবে রাজিয়া জালাল উদ্দিন ইয়াকুত নামক একজন ইথিওপিয়ান দাসকে নিয়োগ দেন। ইয়াকুতকে তিনি অত্যন্ত বিশ্বাস করতেন। এর ফলে তুর্কিরা রাজিয়ার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে নামেন। ১২৩৯ সালে লাহোরের তুর্কি গভর্নর বিদ্রোহ করে। রাজিয়া তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করলে, গভর্নর প্রথমে পালিয়ে যান ও পরে ক্ষমা প্রার্থনা করেণ। তারপর ভাতিন্ডার গভর্নর বিদ্রোহ করেণ। রাজিয়া যখন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুত হচ্ছিলেন তখন তার তুর্কি কর্মকর্তারা তাকে ক্ষমতা থেকে অপসারণ করে এবং তার ভাই বাহারামকে সুলতান ঘোষণা করে। রাজিয়া ভাতিন্ডার গভর্নরকে বিয়ে করে তার সাহায্যে ক্ষমতা ফিরে পাবার চেষ্টা করেণ। কিন্তু রাজিয়া সুলতানা পরাজিত হন ও পলায়ন করেণ। নারী হওয়ার কারণে ও প্রকাশ্যে পর্দাপ্রথার বিরোধী হয়ে শাসনকাজ পরিচালনা করার জন্যে উলেমা ও প্রভাবশালী শ্রেনীর বিরাগভাজন হয়েছিলেন তিনি। তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র অব্যাহত ছিল। এরকম নানান ষড়যন্ত্রের একটি অংশ ছিলো চল্লিশ জন ক্রীতদাসদের সমন্বয়ে গঠিত “চল্লিশ চক্র” বা তার্কান-ই-চিহালগানী। ১২৪০ পলায়নকালে তার একজন ভৃত্য যে কিনা এই চক্রের অন্তর্ভুক্ত ছিল, তাকে খাদ্যে বিষ দিয়ে হত্যা করে। এই ভৃত্যই তাকে আশ্রয় দিয়েছিল। সমাধি রাজিয়া সুলতানার সমাধিস্থল নিয়ে বিতর্ক আছে। একটি মত অনুসারে তার দেহ হরিয়ানার কোইথালে সমাধিস্থ আছে, অপরদিকে মনে করা হয় তার সমাধি পুরোনো দিল্লীর বুলবুল-ই-খানা মহল্লায় আছে। পুরোনো দিল্লীর সমাধিটি বর্তমানে ভারতীয় পুরাতত্ব সর্বেক্ষণ দ্বারা সংরক্ষিত হলেও অত্যন্ত অবহেলিত ও অপরিচ্ছন্ন অবস্থায় বিদ্যমান। তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:দিল্লী সালতানাত বিষয়শ্রেণী:১২০৫-এ জন্ম বিষয়শ্রেণী:১২৪০-এ মৃত্যু বিষয়শ্রেণী:ভারতবর্ষের ইতিহাস বিষয়শ্রেণী:ভারতবর্ষের মুসলিম শাসক বিষয়শ্রেণী:দিল্লির মামলুক সুলতান
সুলতানা রাজিয়া
নুরুদ্দীন মহম্মদ সেলিম বা জাহাঙ্গীর (আগস্ট ৩০, ১৫৬৯ – অক্টোবর ২৮, ১৬২৭) ছিলেন মুঘল সাম্রাজ্যের চতুর্থ সম্রাট। তিনি ১৬০৫ সাল থেকে তার মৃত্যু অবধি ১৬২৭ সাল পর্যন্ত রাজত্ব করেন। তাঁর রাজকীয় নামটির (ফার্সী ভাষায়) অর্থ 'বিশ্বের বিজয়ী', 'বিশ্ব-বিজয়ী'। প্রাথমিক জীবন প্রিন্স সেলিম, পরে জাহাঙ্গীর, ১৫৬৯ সালের ৩১ আগস্ট ফতেপুর সিক্রিতে আকবর এবং তার এক স্ত্রী, আম্বাররাজা ভর্মলের কন্যা মরিয়ম-উজ-জামানি গর্ভে জন্মগ্রহণ করেন। আকবরের পূর্ববর্তী ছেলেমেয়েরা শৈশবে মারা গিয়েছিল এবং তিনি একটি পুত্র সন্তানের জন্য পবিত্র লোকদের সাহায্য চেয়েছিলেন। সেলিমের নাম ছিল শেখ সেলিম, যদিও আকবর তাকে সবসময় শেখু বাবা বলে ডাকতেন। জাহাঙ্গীর ছিলেন মুঘল সাম্রাজ্যের তৃতীয় সম্রাট আকবর-এর পুত্র। শুরুতেই তিনি তার পিতা আকবর এর মতাদর্শী ছিলেন । সেই সময় আকবর দক্ষিণ ভারত-এ ব্যস্ত ছিলেন। তিনি হেরে গেলেও পরবর্তী কালে তার সৎমা রুকাইয়া সুলতান বেগম ও সেলিমা সুলতান বেগম এর সমর্থনে ১৬০৫ সালে রাজা হতে সমর্থ হন। প্রথম বছরেই তাকে তার বড় ছেলে খসরুর বিদ্রোহের মোকাবিলা করতে হয় ও তিনি তাতে সফল হন। তিনি খসরু সমর্থিত ২০০০ লোককে মৃত্যুদণ্ড দেন ও খসরুকে অন্ধ করে দেন। বাবার মত চমৎকার প্রশাসন ছাড়াও জাহাঙ্গীর-এর শাষনামলে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, শক্তিশালী অর্থনীতি এবং চিত্তাকর্ষক সাংস্কৃতিক সাফল্য বিদ্যমান ছিল। এছাড়া সার্বভৌম সীমানা অগ্রসরও অব্যাহত ছিল - বঙ্গ, মেওয়ার, আহমেদনগর ও দক্ষিণ ভারত পর্যন্ত তার রাজ্য বিস্তৃত ছিল। এই সাম্রাজ্য বৃদ্ধির একমাত্র বাধা আসে যখন পারস্য অঞ্চলের সাফারীদ রাজবংশের শাহেনশাহ আব্বাস কান্দাহার আক্রমণ করেন। তা ঘটে যখন ভারতে তিনি খসরুর বিদ্রহ দমন করছিলেন। তিনি রাজপুতানা রাজাদের সাথে সমস্যার সমাধান নিয়ে আলোচনায় বসেন ও তারা সকলেই মুঘল আধিপত্য মেনে নেন ও তার বদলে তাদের মুঘল সাম্রাজ্যে উঁচু পদ দেওয়া হয়। জাহাঙ্গীর শিল্প, বিজ্ঞান এবং, স্থাপত্য সঙ্গে মুগ্ধ হয়ে তরুণ বয়স থেকেই চিত্রকলার প্রতি ঝোঁক দেখিয়েছেন এবং তার নিজের একটি কর্মশালায় ছিল। মুঘল চিত্রকলা শিল্প, জাহাঙ্গীর এর রাজত্বের অধীনে মহান উচ্চতায় পৌঁছেছিল। তার সময় উস্তাদ মনসুর জন্তু ও পাখির ছবি একে বিখ্যাত হন। জাহাঙ্গীর এর ছিল একটি বিশাল পক্ষিশালা ও পশুশালা ছিল। জাহাঙ্গীর ইউরোপীয় এবং ফার্সি শিল্পকলাকেও ভালবাসতেন। তিনি ফার্সি রানী নুর জাহান দ্বারা প্রভাবিত হয়ে তার সাম্রাজ্য জুড়ে ফার্সি সংস্কৃতি প্রচার করেন। তার সময়েই শালিমার গার্ডেন তৈরি হয়। জাহাঙ্গীর তার বাবার মত একজন কঠোর সুন্নি মুসলমান ছিলেন না। তিনি সার্বজনীন বিতর্কে বিভিন্ন ধর্মের মানুষদের অংশগ্রহণ করতে দিতেন। জাহাঙ্গীর তার লোকদের কাউকে জোড়পূর্বক ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে বারণ করতেন। তিনি সকল প্রকার ধর্মের লোকেদের থেকে সমান খাজনা নিতেন। থমাস রো, এডওয়ার্ড টেরি-সহ অনেকেই তার এইপ্রকার আচরণের প্রশংসা করেন। অনেক ভাল গুন থাকা সত্ত্বেও, মদ্যপান ও নারী এই দুই আসক্তির জন্য জাহাঙ্গীর সমালোচিত হন। তিনি এক সময় তার স্ত্রী নুর জাহান কে অতিরিক্ত ক্ষমতা দিয়ে ফেলেন এবং নুর জাহান বিভিন্ন বিতর্কিত চক্রান্তের সাথে জড়িয়ে পরেছিলেন। শেষ দিকে মুসলিম মনীষি আহমদ সিরহিন্দি রহঃ এর ইসলামিক আন্দলনের ফলশ্রুতিতে তিনি ইসলাম ধর্মে বিশ্বাসী হোন । ১৬২২ সালে তার পুত্র খুররাম প্রথম বিদ্রোহ করেন। কিন্তু ১৬২৬ সালে জাহাঙ্গীরের বিশাল সেনাবাহিনীর কাছে কোণঠাসা হয়ে তিনি নিঃশর্তভাবে আত্মসমর্পণ করেন। কিন্তু ১৬২৭ সালে তার মৃত্যুর পর ক্ষুরামই নিজেকে শাহ জাহান উপাধিতে ভূষিত করে সিংহাসন দখল করেন। জাহাঙ্গীরের মৃত্যুর পর বিভিন্ন গল্প , সিনেমা ও সাহিত্যে তার ও আনারকলির রহস্যে ভরা সম্পর্ক স্থান পায়। বিদ্রোহ এবং উত্তরাধিকার নিয়ে বিবাদ thumb|১৬০০ সালে জাহাঙ্গীর এর ক্ষমতায় আসা নিয়ে উৎসব রাজকুমার সেলিম ৩৬ বছর বয়েসে তার বাবার মৃত্যুর ৮ দিন পর ৩০ নভেম্বর, ১৬০৫ সালে ক্ষমতায় এসে নিজেকে নুরুদ্দিন মহম্মদ জাহাঙ্গীর বাদশাহ গাজী উপাধিতে ভূষিত করেন। এখান থেকেই তার ২২ বছরের রাজত্বের শুরু। তিনি প্রথমেই তার ছেলে খসরু মিরজার বিদ্রোহের মুখে পড়েন। খসরু কে তিনি অন্ধ করে দেন ও তাকে আর্থিক সাহায্য করায় পঞ্চম শিখ গুরু অর্জন দেব কে পাঁচ দিন ধরে অত্যাচার করা হয়। পরে তিনি নদীতে স্নান করার সময় উধাও হয়ে যান। জাহাঙ্গীর তার ছোট ছেলে খুররাম উত্তরাধিকার নিশ্চিত করতে ১৬২২ সালে তার বড় ভাই খসরু কে হত্যা করেন। মেয়ার এর রানা ও খুররাম এর মধ্যে একটি সফল চুক্তি হয়। শাহ জাহান বঙ্গ ও বিহার নিয়ে ব্যস্ত থাকার সময়, জাহাঙ্গীর তার জয় করা রাজ্যকে নিজের বলে দাবি করেন। নিজেদের মধ্যে বিবাদের সাহায্য নিয়ে ফার্সিরা কান্দাহার জয় করেন। এর ফলে মুঘলরা আফগানিস্তান ও পারস্য এর মূল্যবান বাণিজ্যিক রুট গুলি নিজেদের অধীন থেকে হারিয়ে ফেলেন। শাসনকাল thumb|left|জাহাঙ্গীরের ভারি মুদ্রা ১৬০৫ খ্রিষ্টাব্দ থেকে ১৬২৭ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত তথ্যসূত্র আরো পড়ুন বহিঃসংযোগ Jehangir and Shah Jehan The World Conqueror: Jahangir Tūzuk-i-Jahangīrī Or Memoirs of Jahāngīr Jains and the Mughals বিষয়শ্রেণী:মুঘল সম্রাট বিষয়শ্রেণী:১৫৬৯-এ জন্ম বিষয়শ্রেণী:১৬২৭-এ মৃত্যু বিষয়শ্রেণী:ভারতবর্ষের মুসলিম শাসক বিষয়শ্রেণী:ভারতবর্ষের ইতিহাস বিষয়শ্রেণী:ভারতীয় সম্রাট বিষয়শ্রেণী:চেঙ্গিস খানের বংশধর ml:ജഹാംഗീര്‍
জাহাঙ্গীর
লন্ডন ( লান্ডান্‌, আ-ধ্ব-ব: [ˈlʌndən]) উত্তর-পশ্চিম ইউরোপের রাষ্ট্র যুক্তরাজ্যের রাজধানী শহর। শহরটি গ্রেট ব্রিটেন দ্বীপের দক্ষিণাংশে অবস্থিত ইংল্যান্ড নামক প্রশাসনিক বিভাগের দক্ষিণ-পূর্ব অংশে টেমস নদীর তীরে অবস্থিত। বিশাল এই মহানগরীতে প্রায় ৮৮ লক্ষ লোকের বাস। এটি ইংল্যান্ড ও যুক্তরাজ্যের বৃহত্তম শহর। যুক্তরাজ্যের ১৩ শতাংশের বেশি লোক লন্ডনে বাস করে। ১৭শ শতক থেকে আজ পর্যন্ত লন্ডন ইউরোপের বৃহত্তম শহর। ১৯শ শতকে এটি বিশ্বের বৃহত্তম ও সবচেয়ে প্রভাবশালী নগরী ছিল। সেসময় শহরটি সুবৃহৎ ও সমৃদ্ধিশালী ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের কেন্দ্রবিন্দু ছিল। যদিও লন্ডন বর্তমানে আর জনসংখ্যার বিচারে বিশ্বের সবচেয়ে বড় শহরগুলির একটি নয়, তা সত্ত্বেও এটি বিশ্বের প্রধানতম আর্থ-বাণিজ্যিক ও সাংস্কৃতিক রাজধানী শহরগুলির একটি হিসেবে পরিগণিত হয়। ইউরোপের অনান্য শহরগুলির তুলনায় লন্ডন ভৌগোলিকভাবে বেশি বিস্তৃত ও বিক্ষিপ্ত; শহরটির কোন আধিপত্য বিস্তারকারী প্রধান কেন্দ্র নেই। তাই সহজে শহরটির একটি সাধারণ বর্ণনা দেওয়া সম্ভব নয়। লন্ডন শহরটির বহুমুখী চরিত্র এর বিচিত্র ও স্বতন্ত্র অংশগুলিতে খুঁজে নিতে হয়। এই অংশগুলিতে আদিতে আলাদা আলাদা গ্রাম হিসেবে যাত্রা শুরু করেছিল, আর বর্তমান যুগে এসেও এগুলি তাদের স্বতন্ত্র চরিত্রের অনেকখানিই ধরে রেখেছে। লন্ডনের চেহারা অংশত তার অতীত দ্বারা সংজ্ঞায়িত, কেননা শহরের প্রধান প্রধান ভবন ও স্থাপনাগুলি লোকালয়টির ২০০০ বছরের ইতিহাসের সাক্ষী বহন করছে। কিন্তু লন্ডনের নব্য একটি চেহারাও আছে যা বহুজাতিক মিশ্রণের ফলাফল। নতুন এই লন্ডন আধুনিক ও চলতি। লন্ডনের জলবায়ু সাধারণত আর্দ্র। আকাশ প্রায়ই মেঘাচ্ছন্ন থাকে এবং বছরের অর্ধেকসংখ্যক দিনে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু গড় বাৎসরিক বৃষ্টিপাতের পরিমাণ মাত্র ৭৫০ মিলিমিটার; ফলে এদিক থেকে লন্ডন মূলত শুষ্ক। জুলাই মাসের গড় তাপমাত্রা ১৮ ডিগ্রী ও গ্রীষ্মে সর্বোচ্চ ২৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস; তাপদাহ বিরল ও স্বল্পস্থায়ী। এর বিপরীতে হিমশীতল ও কুয়াশাবৃত শীতকালে গড় তাপমাত্রা জানুয়ারি মাসে ৪ ডিগ্রী সেলসিয়াসে নেমে আসে। লন্ডন মহানগর এলাকাটি এর সবচেয়ে প্রশস্ত অংশে সর্বোচ্চ ৩০ মাইল পর্যন্ত বিস্তৃত হতে পারে। মহানগরীর মোট আয়তন প্রায় ১৬১০ বর্গকিলোমিটার। এই বিশাল নগর ভূখণ্ডটি ৩৩টি প্রশাসনিক বিভাগে বিভক্ত (৩২টি বারো এবং সিটি অফ লন্ডন)। এই সুবিশাল নগর এলাকার মধ্যভাগে রয়েছে কেন্দ্রীয় লন্ডন নামের অঞ্চলটি। কেন্দ্রীয় লন্ডনের সিংহভাগই টেমস নদীর উত্তর তীরে অবস্থিত এবং এটি একটি মৃদু ঢাল বেয়ে ধীরে ধীরে উত্তরে উঠে গেছে। উপরোক্ত ৩৩টি প্রশাসনিক বিভাগের ১২টিই কেন্দ্রীয় লন্ডনে অন্তর্ভুক্ত। এদের মধ্যে সিটি অফ লন্ডন, ওয়েস্টমিনস্টার এবং ওয়েস্ট এন্ডের কয়েকটি নগর-জেলা অন্যতম। সিটি অফ লন্ডন নগরীর ঐতিহাসিক কেন্দ্র এবং একাই একটি প্রশাসনিক বিভাগ গঠন করেছে। ওয়েস্টমিনস্টারে ইংল্যান্ডের জাতীয় সরকারের কার্যালয় অবস্থিত। কেন্দ্রীয় লন্ডনের বাইরের অংশগুলি মূলত অনুচ্চ আবাসিক ভবন নিয়ে গঠিত। লন্ডনের জনসংখ্যা প্রায় ৮৬ লক্ষ, যা সমগ্র যুক্তরাজ্যের জনসংখ্যার এক-দশমাংশেরও বেশি। অন্যান্য ব্রিটিশ ও মার্কিন শহরের তুলনায় লন্ডনের জনঘনত্বও বেশি, প্রতি বর্গকিলোমিটারে ৪৪৮০ জন। লন্ডনে ১৯শ শতকে আইরীয়, চীনা ও ইহুদী এবং ২০শ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে ভারতীয় উপমহাদেশীয়, ক্যারিবীয় কৃষ্ণাঙ্গ ও পূর্ব আফ্রিকান কৃষ্ণাঙ্গ অভিবাসীদের আগমনের সুবাদে লন্ডন বর্তমানে একটি বহুজাতিক, বহুভাষিক ও বহুসাংস্কৃতিক বিশ্বনগরীতে পরিণত হয়েছে। লন্ডনের খ্যাতনামা উচ্চশিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে লন্ডন ইউনিভার্সিটি, লন্ডন স্কুল অফ ইকোনমিকস এবং কিংস কলেজ উল্লেখযোগ্য। এছাড়া এখানে চারুকলা ও বিভিন্ন ধ্রুপদী শিল্পকলার উপর অনেকগুলি বিশ্বসেরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আছে। ২০০০ বছরেরও বেশি ইতিহাসসমৃদ্ধ লন্ডন শহর নিজেই এক বিশাল জাদুঘর। তবে এই শহরে ১০০-রও বেশি জাদুঘর আছে, যা বিশ্বের সর্বোচ্চ। এদের মধ্যে ব্রিটিশ মিউজিয়াম, ভিক্টোরিয়া অ্যান্ড আলবার্ট মিউজিয়াম, ন্যাচারাল হিস্টরি মিউজিয়াম, সায়েন্স মিউজিয়াম ও মিউজিয়াম অফ লন্ডন সবচেয়ে বেশি উল্লেখযোগ্য। অন্যদিকে ট্রাফালগার চত্ত্বরের ন্যাশনাল গ্যালারি ও টেট গ্যালারিসহ আরও বহু চিত্রশালায় নতুন-পুরাতন ঘরানার বহু চিত্রকর্মের সংগ্রহ পরিদর্শন করা যায়। বিনোদনের জন্য লন্ডন শহরে বহু বিশালাকার উদ্যান ও খেলার মাঠ আছে। এদের মধ্যে বৃহত্তমটি হল হাইড পার্ক নামক নগর উদ্যান। এর পশ্চিমেই অবস্থিত কেনসিংটন গার্ডেনস নামক উদ্যানটিতেও বহু লোক বেড়াতে আসেন। রিজেন্টস পার্ক নামক উদ্যানে লন্ডন চিড়িয়াখানাটি অবস্থিত। গ্রিন পার্ক ও সেন্ট জেমস পার্ক নামের রাজকীয় উদ্যান দুইটি ওয়েস্টমিনস্টার এলাকাতে এক দীর্ঘ সবুজ বেস্টনীর সৃষ্টি করেছে। ক্রীড়াক্ষেত্রেও লন্ডনের গুরুত্ব অনেক। আর্সেনাল ও টটেনহাম লন্ডনের দুই স্থানীয় ফুটবল ক্লাব দল, লন্ডনের শহরতলী ওয়েম্বলির স্টেডিয়ামে ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এফ এ) কাপ ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয়। লর্ডস মাঠ ইংরেজ ক্রিকেট তথা বিশ্ব ক্রিকেটের সবচেয়ে সম্মানবাহী ঐতিহাসিক মাঠ হিসেবে পরিচিত, যেখানে ইংল্যান্ডের জাতীয় ক্রিকেট দল ও বিদেশী দলগুলি টেস্ট ম্যাচ খেলে থাকে। আর লন্ডনের আরেক শহরতলী উইম্বলডনের ঘাসাচ্ছাদিত কোর্টগুলিতে টেনিসের ৪টি প্রধান বাৎসরিক প্রতিযোগিতার একটি অনুষ্ঠিত হয়। লন্ডন যুক্তরাজ্যের অর্থনীতির প্রাণকেন্দ্র। লন্ডনের অর্থনীতির আয়তন প্রায় ৬০ হাজার কোটি মার্কিন ডলার। লন্ডনের অর্থনীতি বিশ্বের ৫ম বৃহত্তম মহানগর অর্থনীতি। লন্ডন শহরের অর্থনীতি এতই বড় যে এটি আরেকটি উন্নত দেশ সুইডেনের সমগ্র অর্থনীতির সমান। লন্ডনের অর্থনীতি সমগ্র যুক্তরাজ্যের অর্থনীতির প্রায় এক-চতুর্থাংশ (২২%) গঠন করেছে। যুক্তরাজ্যের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ মানুষের আর্থিক জীবন লন্ডনকে কেন্দ্রে করে আবর্তিত হয়। লন্ডনের চাকুরিজীবিদের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ, প্রায় ৮৫%, সেবা খাতে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। লন্ডনে বিশ্বের একশতরও বেশি বহুজাতিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সদর দফতর অবস্থিত। মূল শহর ও মহানগর অঞ্চল লন্ডনের দুটি দূরবর্তী বিন্দুর মধ্যবর্তী সর্বোচ্চ দূরত্ব প্রায় ৩০ মাইল। এর আয়তন ১৬১০ বর্গ কিমি (৬২০ বর্গ মা)। এই সুবৃহৎ শহরাঞ্চলটি ৩৩টি রাজনৈতিক এককে বিভক্ত। কেন্দ্রে অবস্থিত সিটি অফ লন্ডন ছাড়াও রয়েছে অধীনস্থ ৩২টি বরো। কেন্দ্রীয় অঞ্চলটিকে মধ্য লন্ডন নামে ডাকা হয় যার বেশির ভাগ অঞ্চলই টেম্‌স নদীর উত্তরে একটি মৃদুমন্দ ঢালু এলাকায় অবস্থিত। এই ঢালুটি আবার আরও উত্তর দিকে গিয়ে উঠতে শুরু করেছে। ৩৩টি রাজনৈতিক এককের মধ্যে ১২টিই এই মধ্যভাগে অবস্থিত যার মধ্যে রয়েছে সিটি অফ লন্ডন, সিটি অফ ওয়েস্টমিন্‌স্টার এবং পশ্চিম প্রান্তের জেলাসমূহ। সিটি অফ লন্ডন হচ্ছে লন্ডন শহরের প্রথাগত ও রাজনৈতিক কেন্দ্র আর সিটি অফ ওয়েস্টমিন্‌স্টার হল জাতীয় সরকারের দফ্‌তর ও মূল আসন। যতই প্রান্তের দিকে যাওয়া যায় জীবনযাত্রার উচ্চ মান ও চাকচিক্য ততই কমতে থাকে। সিটি অফ লন্ডন: লন্ডনের সবচেয়ে ঐতিহ্যবাহী কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত এই অঞ্চলটির আয়তন খুবই কম, মাত্র ২.৬ বর্গ কিমি। একেবারে কেন্দ্রভাগে অবস্থিত এই অঞ্চলটি এখনও মূল শহর হিসেবে পরিচিত। আশেপাশের বৃহত্তর মেট্রোপলিটান অঞ্চল থেকে পৃথক করার জন্য এই অংশকে অতি মাত্রায় পূজিবাদী ধনিকদের বাসস্থান হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে। ৫০ সালের দিকে এই অংশেই লন্ডন একটি রোমান ঔপনিবেশিক শহর হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। লন্ডনে রোমানদের নির্মীত প্রথম সেতুকে কেন্দ্র করে এটি প্রতিষ্ঠা লাভ করেছিল। বর্তমানে লন্ডনের সকল বাণিজ্যিক কর্মকাণ্ডের কেন্দ্র হল এই কেন্দ্রীয় শহরের থ্রেডনিড্‌ল স্ট্রিট যা ব্যাংক নামে পরিচিত এলাকায় অবস্থিত। এই এলাকায় রয়েছে বিখ্যাত ব্যাংক অফ ইংল্যান্ড ভবন, রয়েল এক্সচেঞ্জ এবং স্টক এক্সচেঞ্জ। এখানকার স্থায়ী জনসংখ্যা মাত্র ৬,০০০ কিন্তু বিভিন্ন ব্যবসায়িক ও দাপ্তরিক কাজের উদ্দেশ্যে প্রতিদিন এখানে প্রায় ৩৫০,০০০ লোকের আগমন ঘটে। শহরের উত্তর প্রান্তে অবস্থিত বার্বিকান সেন্টার এখানকার একমাত্র আবাসিক এলাকা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মানদের গোলার আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত শহরের দালানগুলোকে প্রতিস্থাপিত করার উদ্দেশ্যে বার্বিকান তৈরি করা হয়েছিল। এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপত্য হচ্ছে সেন্ট পলের ক্যাথেড্রাল। ইংরেজ স্থপতি ক্রিস্টোফার রেন এর নকশা করেছিলেন। এছাড়া টাওয়ার অফ লন্ডন বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। সিটি অফ ওয়েস্টমিন্‌স্টার: সিটি অফ লন্ডন থেকে প্রায় ২ মাইল উপরের দিকে সিটি অফ ওয়েস্টমিন্‌স্টার অবস্থিত। একাদশ শতাব্দীর পর থেকে লন্ডনের ধর্মীয় ও রাজনৈতিক ক্ষমতার কেন্দ্র পরিণত হয় এই শহরটি। শহরের কেন্দ্র জুড়ে রয়েছে ওয়েস্টমিন্‌স্টার অ্যাবে। এডওয়ার্ড দ্য কনফেসর একাদশ শতকে এই বৃহৎ গির্জার নির্মাণকাজ শুরু করেন এবং ত্রয়োদশ শতকে এটি পুনর্নিমাণ করা হয়। ব্রিটেনের রাজতন্ত্রের সাথে এর যোগাযোগ তখন থেকেই। বিভিন্ন রাজকীয় অনুষ্ঠান এবং শেষকৃত্য এখানেই সম্পন্ন হয়ে থাকে। একে সমাধিস্থল হিসেবেও ব্যবহার করা হয় ৩০০০-এরও অধিক গুরুত্বপূর্ণ ও নামী-দামী লোকের সমাধি এখানে অবস্থিত। এর পাশের রাস্তা ধরে অবস্থিত হাউজ অফ পার্লামেন্ট যাকে রাষ্ট্রীয়ভাবে নিউ প্যালেস অফ ওয়েস্টমিন্‌স্টার নামে ডাকা হয়। আরও পশ্চিমে গেলে পাওয়া যায় ব্রিটেনের রাজার স্থায়ী সরকারী বাসভবন যার নাম বাকিংহাম প্রাসাদ। উত্তরে রয়েছে ট্রাফালগার স্কোয়ার যা লন্ডনের অবশিষ্ট পশ্চিমাংশের সাথে ওয়েস্টমিন্‌স্টারের রাজনৈতিক ও ধর্মীয় যোগসূত্র স্থাপন করেছে। পশ্চিম প্রান্ত: ট্রাফালগার স্কোয়ারের পশ্চিম এবং উত্তরে লন্ডনের পশ্চিম প্রান্ত অবস্থিত। দৈনন্দিন বাজার-সদাই এবং বিনোদনের প্রধান কেন্দ্র হওয়ায় একে অনেক সময় লন্ডনের কেন্দ্র বলা হয়ে থাকে। এখানকার ব্যস্ততম বাজার এলাকা হচ্ছে অক্সফোর্ড স্ট্রিট যেখানে সেলফ্রিজেস, জন লুই এবং মার্ক ও স্পেন্সারের মত বড় বড় ডিপার্টমেন্টাল স্টোর রয়েছে। এছাড়াও নাইট্‌সব্রিজ এবং পিকাডিলিতে বেশ কিছু দোকান রয়েছে। পিকাডিলির উত্তর-পূর্বে অবস্থিত সোহো এবং কনভেন্ট গার্ডেন সেকশনে বিনোদনের প্রধান কেন্দ্রগুলো ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। সোহো এবং কনভেন্ট গার্ডেন সপ্তদশ শতকে আবাসিক এলাকা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীকালে এখানে দোকানপাট, নাট্যমঞ্চ এবং বিনোদন কেন্দ্র গড়ে উঠে। রাজকীয় অপেরা হাউজ এবং লন্ডনের ৪০টির-ও অধিক প্রধান নাট্যমঞ্চ এখানে অবস্থিত। এছাড়াও রয়েছে প্রচুর দোকানপাট, রেস্তোঁরা এবং বার। সোহো এবং কনভেন্ট হাউজের ঠিক পশ্চিমের অঞ্চলটি অপেক্ষাকৃত আবাসিক। তবে এখানেই হাইড পার্ক, কেনিংসটন গার্ডেন্‌স এবং রিজেন্ট্‌স পার্কের মত রাজকীয় পার্কগুলোর অবস্থান। পশ্চিম প্রান্তের উত্তর অংশে রয়েছে বিখ্যাত ব্রিটিশ জাদুঘর এবং লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়। এই উত্তর অংশটি শহরের বুদ্ধিজীবী ও লেখক-সাহিত্যিক মহলের আড্ডাখানা। বিংশ শতাব্দীর প্রথমভাগে এখানে বসবাসকারী লেখকদের যে সার্কেল গড়ে উঠেছিল তা ব্লুম্‌সবারি গ্রুপ নামে পরিচিত। পূর্ব প্রান্ত এবং ডকল্যান্ডসমূহ: সিটি অফ লন্ডন এবং লন্ডন টাওয়ার পেরিয়েই লন্ডনের পূর্ব প্রান্তের অবস্থান। এখানের মূল স্থাপনা হচ্ছে লন্ডনের সব নৌ-বন্দর এবং জাহাজঘাট। এছাড়া অভিবাসীদের আবাস হিসেবেও স্থানটি পরিচিত। বস্তি অঞ্চল, দারিদ্র্য এবং সন্ত্রাসের কারণে এ স্থান কুখ্যাত। এই অঞ্চলেই দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী জ্যাক দ্য রিপারের আবির্ভাব ঘটেছিল। এখানকার বেথনালে গ্রিনে ভিক্টোরীয় যুগ থেকেই বস্তি অঞ্চল রয়ে গেছে। গরিব অভিবাসীদের বাসস্থান হলেও সাপ্তাহিক ছুটির সময়ে এখানকার রাস্তার পাশের বাজার বিখ্যাত হয়ে উঠে। বিশেষত মিড্‌লসেক্স স্ট্রিট জুড়ে অবস্থিত পেটিকোট লেনের বাজার পরিচিতি লাভ করেছে। জাহাজঘাটসমূহের প্রাণকেন্দ্র হচ্ছে আইল অফ ডগ্‌স যেখানে একসময় রাজকীয় কেনেল অবস্থিত ছিল। বর্তমানে প্রাচীন ডকইয়ার্ডসমূহ প্রতিস্থাপন করে নতুন জাহাজঘাট গড়ে তোলা হচ্ছে। ঘনবসতিপূর্ণ লন্ডনের উপর থেকে বাণিজ্যিক চাপ কমানোর জন্যই এই ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে মনে হয়। উত্তর লন্ডন:ঊনবিংশ শতাব্দী নাগাদ উত্তর লন্ডনে কিছু বিচ্ছিন্ন গ্রাম ছাড়া আর কিছু ছিলনা। পাতাল রেলপথ তথা টিউব স্থাপনের পর এখানে উন্নয়নের সুযোগ সৃষ্টি হয়। রিজেন্ট্‌স ক্যানালে অবস্থিত ক্যামডেন টাউনে শহরের সবচেয়ে কমদামী পণ্যের বাজার রয়েছে। এখানে স্বল্প মূল্যে গহনা এবং পোশাক পাওয়া যায়। আরও উত্তরে গেলে পাওয়া যায় লন্ডনের সবচেয়ে খানদানী গ্রামগুলো। যেমন হ্যাম্পস্টিড (বিখ্যাত লেখকদের কেন্দ্রভূম) এবং হাইগেট (যেখানে লন্ডনের সবচেয়ে পরিচিত সমাধিস্থল অবস্থিত)। এখানকার সমাধিস্থলে কার্ল মার্ক্সের একটি বড় মূর্তি রয়েছে। উত্তর লন্ডনের একেবারে কেন্দ্রে রয়েছে ৮০০ একর আয়তন বিশিষ্ট [[হ্যাম্পস্টিড] হিথ]] নামক সুবৃহৎ পাবলিক পার্ক। দক্ষিণ লন্ডন: টেম্‌স নদীর দক্ষিণ অংশ অনেক আগে থেকেই লন্ডন শহর থেকে বিচ্ছিন্ন অবস্থায় আছে। এখানে শহরের অখ্যাত সব বিনোদন কেন্দ্র যেমন পতিতালয়, বার এবং নাট্যমঞ্চ রয়েছে যেগুলো শহরের এখতিয়ার বহির্ভূত। অখ্যাত ব্যাংকসাইড থেকে সামান্য দূরে অবস্থান করছে সাউথওয়ার্ক ক্যাথেড্রাল যা ত্রয়োদশ শতকে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। ব্যাংকসাইডে মোরগ লড়াই এবং বেয়ার বেইটিংয়ের মত নিষ্ঠুর খেলাগুলো অনুষ্ঠিত হয়। এই ব্যাংকসাইডেই এলিজাবেথীয় নাট্যমঞ্চগুলো অবস্থিত। অপরাধ প্রবণতার দায়ে এগুলোকে মূল শহরের ভিতরে স্থাপন করতে দেয়া হতো না। এই নাট্যমঞ্চগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত গ্লোব থিয়েটার যেখানে উইলিয়াম শেক্সপিয়ার তার অধিকাংশ নাটক মঞ্চস্থ করেছিলেন। সম্প্রতি এই নাট্যমঞ্চটির সংস্কার করা হয়েছে। ইতিহাস রোমান এবং স্যাক্সন যুগ ৪৩ খ্রিষ্টাব্দে রোমানরা ব্রিটেন দখল করে পূর্ব ইংল্যান্ডের কোলচেস্টারে তাদের প্রাদেশিক রাজধানী স্থাপন করে। কোলচেস্টার যাবার পথ তৈরির উদ্দেশ্যে তারা টেম্‌স নদীর উপর একটি সেতু নির্মাণ করে এবং সেতুর এপারে লন্ডিনিয়াম শহরের পত্তন ঘটায়। সাধারণ রোমান ঔপনিবেশিক শহরগুলোর মতই সে শহরে দুইটি প্রধান সড়ক ছিল যে দুটি বৃহৎ ব্যাসিলিকাতে এসে মিলিত হয়েছে। এই ব্যাসিলিকার স্থানে এখন ব্যাংক অফ ইংল্যান্ড অবস্থিত। ২০০ সাল নাগাদ তারা এই শহরের চারপাশে একটি দেয়াল নির্মাণ করার মাধ্যমে পরবর্তীকালে সিটি অফ লন্ডন হিসেবে পরিচিত এলাকার সীমানা নির্ধারণ করে। টীকা তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:লন্ডন বিষয়শ্রেণী:ইংল্যান্ডের শহর বিষয়শ্রেণী:ইউরোপের রাজধানী
লন্ডন
কঙ্গো নামে আফ্রিকায় দুইটি রাষ্ট্র রয়েছে: কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, কঙ্গো-ব্রাজাভিল নামেও পরিচিত। গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, কঙ্গো-কিনশাসা নামেও পরিচিত, পূর্ব নাম জায়ার।
কঙ্গো (দ্ব্যর্থতা নিরসন)
আব্দুর রহমান বয়াতী (জন্ম: ১৯৩৯ - মৃত্যু: ১৯ আগস্ট, ২০১৩) ছিলেন বাংলাদেশের একজন প্রসিদ্ধ লোকসঙ্গীত শিল্পী। তিনি একাধারে অসংখ্য জনপ্রিয় লোকগানের শিল্পী, গীতিকার, সুরকার এবং সঙ্গীত পরিচালক৷ শিল্পকলায় বিশেষ অবদানের জন্য তিনি ২০১৫ সালে একুশে পদক লাভ করেছেন। জন্ম ১৯৩৯ সালে ব্রিটিশ ভারতের ঢাকার সূত্রাপুর থানার দয়াগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন আবদুর রহমান বয়াতী। সঙ্গীত জীবন তিনি ১৯৮২ সালে ‘আবদুর রহমান বয়াতি’ নামে বাউল দল গড়ে তোলেন। তিনি দোতারা, হারমোনিয়াম, খঞ্জনি ও ভায়োলিন বাজাতেন পারতেন। তিনি বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, নেপাল, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জাপান, অস্ট্রেলিয়া, অস্ট্রিয়া, কানাডা, চীন, সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন ও মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের ৪২টি দেশ বাউল গান পরিবেশন করেছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ এইচ. ডব্লিউ. বুশের আমন্ত্রণে হোয়াইট হাউসে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি গান গেয়েছিলেন। তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেতারের বিশেষ গ্রেডের শিল্পী ছিলেন। বিখ্যাত গান এ পর্যন্ত তার প্রায় পাঁচশ একক গানের অ্যালবাম বের হয়েছে। পাশাপাশি তিনটি মিশ্র অ্যালবামে গান গেয়েছেন তিনি। তার উল্লেখযোগ্য গানের মধ্যে রয়েছে - ‘মন আমার দেহঘড়ি সন্ধান করি কোন মিস্তরি বানাইয়াছে’ ‘আমি ভুলি ভুলি মনে করি প্রাণে ধৈর্য্য মানে না’ ‘আমার মাটির ঘরে ইঁদুর ঢুকেছে’ ‘মরণেরই কথা কেন স্মরণ কর না’ ‘মা আমেনার কোলে ফুটল ফুল’ ‘ছেড়ে দে নৌকা মাঝি যাবো মদিনা’ চলচ্চিত্রে অভিনয় ১৯৮৯ সালে হাফিজুদ্দিন পরিচালিত ‘অসতী’ নামে একটি চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছিলেন। মৃত্যু ১৯ আগস্ট ২০১৩ সালে রাজধানীর ধানমন্ডির সাতমসজিদ রোডের জাপান-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। পুরস্কার ও সম্মাননা ২০১৫ সালে মরণোত্তর একুশে পদক লাভ করেন। তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে আবদুর রহমান বয়াতী বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশী সঙ্গীতশিল্পী বিষয়শ্রেণী:১৯৩৯-এ জন্ম বিষয়শ্রেণী:২০১৩-এ মৃত্যু বিষয়শ্রেণী:বাউল বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশী গায়ক
আবদুর রহমান বয়াতী
কোটি (ইংরেজি: Crore) ভারতীয় উপমহাদেশে ব্যবহৃত একটি সংখ্যাবাচক শব্দ। ১ কোটি হল ১,০০,০০,০০০ বা ১০০ লাখ এর সমান। অনেক সময় এটিকে ক্রোর ও বলা হয়ে থাকে। ইরানেও কিছুদিন পূর্বে পর্যন্ত এর প্রচলন ছিল। তবে ইরানী কোটি (ফার্সি ভাষায়کرور (Korur) ) ৫ লাখ বা ৫,০০,০০০ এর সমান। ১০ মিলিয়ন এ ১ কোটি এর সমান হয় । ১০০ কোটিতে ১ বিলিয়ন (১০০০,০০০,০০০) এর সমান হয়। গাণিতিক উপস্থাপন: দশমিক এ এক কোটি কে বিভিন্নভাবে লেখা যায়ঃ ১০০,০০,০০০ - এক এর পর সাতটি শূণ্য । ১ x ১০৭ - বৈজ্ঞানিক পরিভাষায় দশ এর সপ্তম ঘাত দ্বারা প্রকাশ করা হয়। ১০৭ ----এভাবেও লেখা যায় । বিভিন্ন ব্যবহারঃ কোটি অন্য অর্থে পদ বা স্থান বোঝায়, যেমন "উচ্চকোটি" নির্দেশ করে উচ্চপদস্থ বা উচ্চস্থানীয়, যার ইংরেজি সমার্থক হবে "High Ranked"। কোটি শব্দটির আরেকটি ব্যবহার হিসেবে উল্লেখ করা যায়, প্রচলিত রয়েছে হিন্দুধর্মে দেবতার সংখ্যা তেত্রিশ কোটি ; ভ্রান্ত ধারণা হল ৩৩,০০,০০,০০০ টি দেবতা। কিন্তু এর প্রকৃত অর্থ হল তেত্রিশজন পদাধিকারী দেবতা। অনেকসময় অনেক ধন-সম্পত্তির মালিক বোঝাতে "কোটিপতি" বলে উল্লেখ করা হয় । বিষয়শ্রেণী:সংখ্যাবাচক শব্দ
কোটি
thumb|ভারতের একটি টেরাকোটাতে হনুমানের মূর্তি টেরাকোটা একটি লাতিন শব্দ: 'টেরা' অর্থ মাটি, আর 'কোটা' অর্থ পোড়ানো। মানুষের ব্যবহার্য পোড়ামাটির তৈরি সকল রকমের দ্রব্য টেরাকোটা নামে পরিচিত। আঠালো মাটির সঙ্গে খড়কুটো, তুষ প্রভৃতি মিশিয়ে কাদামাটি প্রস্তুত করা হয়। সেই মাটি থেকে মূর্তি, দৃশ্যাবলি তৈরি করে রোদে শুকিয়ে আগুনে পুড়িয়ে টেরাকোটা ভাস্কর্য তৈরি করা হয়। মানবসভ্যতার বিকাশকাল হতে পোড়ামাটির ভাস্কর্যের ব্যবহার পরিলক্ষিত হচ্ছে। সুমেরীয় সভ্যতা, ব্যাবীলনীয় সভ্যতা, মায়া সভ্যতায় এই শিল্পের প্রচলন ছিল।পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশে মৌর্য সাম্রাজ্য, গুপ্ত সাম্রাজ্য-এর বহু টেরাকোটার নিদর্শন পাওয়া গেছে।পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুর শহর টেরাকোটা শিল্পের জন্য বিখ্যাত। ইতিহাস ভারতবর্ষের সিন্ধু নদীর তীরে খ্রিষ্টপূর্ব ৫০০০ বৎসর বা তার আগে বিকশিত সিন্ধু সভ্যতায় প্রচুর টেরাকোটার নিদর্শন পাওয়া গেছে। এই সব নিদর্শেনের মধ্যে রয়েছে নানা ধরনের পাত্র, দেবদেবীর মূর্তি, স্বস্তিকা চিহ্ন ইত্যাদি। খ্রিষ্টপূর্ব ৪৫০ অব্দের দিকে বাংলাদেশের উয়ারী-বটেশ্বর অঞ্চলে বিকশিত সভ্যতায় এই জাতীয় নমুনা পাওয়া গেছে। এই বিচারে বলা হয়, বহু আগে থেকেই বাংলাদেশের শিল্পীরা টেরাকোটা তৈরির কৌশল শিখেছিল। চতুর্দশ শতাব্দীর প্রাক কালে ইউরোপ এবং কলম্বিয়ান জনগোষ্ঠীর কাছে টেরাকোটা শুধু মাত্র সিরামিক হিসাবেই পরিচিত ছিল। প্রাচীন কালে এই পদ্ধতিতে নানাধরনের পাত্র, তাবিজ, ইট তৈরি করা হতো। যখন মহেঞ্জোদাড়ো (খৃষ্ট-পূর্ব ৩০০০-১৫০০) নগর-বসতি আবিষ্কৃত হয়,তখন ওখান থেকে কিছু পোড়া মাটির নারী দেহ ফলক খুঁজে পান খননকারীরা !দিনাজপুরের কান্তজীর মন্দিরে টেরাকোটার অসংখ্য নিদর্শন পাওয়া গিয়েছে। বাংলাদেশের মন্দিরের গাত্র অলঙ্করণের জন্য একসময় টেরাকোটা অপরিহার্য উপকরণ ছিল। এই সূত্রে মসজিদেও টেরাকোটা ব্যবহৃত হয়েছে। প্রনালী প্রথমে কাদা দিয়ে কোনো অবয়ব তৈরি করা হয় তারপর রৌদ্রে শুকানো হয় এবং পরে তা আগুনে পুড়িয়ে মজবুত করা হয়। এই পদ্ধতিতে মাটির ফলকে কোনো শিল্পকর্ম উপস্থান করলে, তখন তাকে টেরাকোটা বলা হয়। মূলত টেরাকোটা সাংসরিক কাজে ব্যবহারের জন্য তৈরি করা হয়। গৃহাদি অলঙ্করণ বা কোনো শৈল্পিক প্রদর্শনের জন্য টেরাকোটা তৈরি করা হয়। কিছু কুশলী শিল্পীরা টেরাকোটা তৈরি করে থাকেন। তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:প্রাচীন সভ্যতা বিষয়শ্রেণী:প্রত্নতত্ত্ব বিষয়শ্রেণী:পুরাকীর্তি
টেরাকোটা
লালবাগ শব্দটির অর্থ লাল বাগান। এই নামে বাংলাদেশ ও ভারতের কিছু স্থান রয়েছে। লালবাগ দ্বারা নিচের যে কোনো একটিকে বোঝানো যেতে পারেঃ বাংলাদেশ লালবাগের কেল্লা, বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় অবস্থিত প্রাচীন দুর্গ লালবাগ (ঢাকা), বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার একটি এলাকা ভারত লালবাগ মহকুমা, পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার একটি মহকুমা লালবাগ (বাঙ্গালোর), ভারতের একটি স্থান লালবাগ (বর্ধমান), ভারতের একটি স্থান আরও দেখুন লালদিঘি (দ্ব্যর্থতা নিরসন) লালসালু (দ্ব্যর্থতা নিরসন)
লালবাগ (দ্ব্যর্থতা নিরসন)
ছায়াবিথী হচ্ছে এমন দীর্ঘ ও সোজা পথ, যার দু পার্শ্বে থাকে বৃক্ষ; আর বৃক্ষের ছায়ায় সেই পথ থাকে ছায়ায় ঢাকা। ইংরেজিতে Avenue (এভিনিউ) বলা হয়। যদিও বর্তমানে শহুরে রাস্তাকেও 'Avenue' বলা হয়। বাংলাদেশের গাজীপুর জেলার জয়দেবপুর এর রাজবাড়ী এলাকায় ছায়াবিথী অবস্থিত। উত্তর, দক্ষিণ ও মধ্য ছায়াবিথী তে ছায়া ঘেরা বাগান ছিল। শহর হওয়ায় সকল গাছ কেটে দালানকোঠা তৈরী হয়েছে। ইতিহাস তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:বাগান বৈশিষ্ট্য বিষয়শ্রেণী:ভূদৃশ্য স্থাপত্য বিষয়শ্রেণী:রাস্তার ধরন বিষয়শ্রেণী:মহাসড়কের ধরন
ছায়াবীথি
জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচী (United Nations Development Programme) বা ইউএনডিপি (UNDP) জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের একটি সহায়ক সংস্থা। ১৯৬৫ সালের ২২শে নভেম্বর এই সংস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়। উন্নয়নশীল দেশ সমূহে সম্পদের পরিকল্পিত ব্যবহার এবং সম্পদ আহরণে সাহায্য করা এই সংস্থার উদ্দেশ্য। প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে এই সংস্থা আর্থিক সহায়তা প্রদান করে থাকে। এই সংস্থার সদর দপ্তর নিউ ইয়র্কে অবস্থিত। ইতিহাস ইউএনডিপি ২২শে নভেম্বর ১৯৬৫ সালে তারিখে সম্প্রতি সম্প্রসারিত কারিগরি সহায়তার (ইপটিএ) প্রোগ্রাম এবং বিশেষ তহবিলের সাথে একত্রিত হয়েছিল। এই যুক্তিটি ছিল তাদের কার্যকলাপের অনুকরণ। ইপিটিএ ১৯৪২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়, যার ফলে উন্নয়নশীল দেশগুলোর অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক দিকগুলোতে সহায়তা করা হয় এবং বিশেষ তহবিলে জাতিসংঘের প্রযুক্তিগত সহযোগিতার সুযোগ বৃদ্ধি করা হয়। বিশেষ সুবিধার জন্য বিশেষ জাতিসংঘের তহবিলের অর্থনৈতিক উন্নয়নের (সুনফেড) ধারণাটি (যা প্রাথমিকভাবে ইউএনএফএইড নামে অভিহিত হয়েছিল) থেকে উদ্ভূত হয়েছিল। যদিও জাতিসংঘের মতো দেশগুলো যেমন জাতিসংঘের নিয়ন্ত্রিত তহবিলের সমর্থক ছিল তবে, উন্নত দেশগুলির দ্বারা এই বিরোধিতা, বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যারা তৃতীয় বিশ্ব থেকে উদ্বেগজনক এই ধরনের তহবিল আধিপত্য করেছিল এবং বিশ্বব্যাংকের তদনুসারে এটি পছন্দ করেছিল। "বিশেষ তহবিল" গঠন করার জন্য সুনফেডের ধারণাটিকে বাদ দেওয়া হয়েছিল। এই বিশেষ তহবিলটি SUNFED ধারণার উপর কিছু আপোষ ছিল, এটি বিনিয়োগের মূলধন প্রদান করেনি, কিন্তু শুধুমাত্র বেসরকারী বিনিয়োগের জন্য প্রাক শর্ত আনতে সাহায্য করেছে। বিশ্বব্যাংকের ছাতাতে ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট এসোসিয়েশনের প্রস্তাব এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ইপিটিএ এবং স্পেশাল ফান্ড একই রকম কাজ পরিচালনা করতে দেখা যায়। ১৯৬২ সালে জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কাউন্সিলের মহাসচিবকে জাতিসংঘের প্রযুক্তিগত সহায়তা কর্মসূচিতে মিলিত হওয়ার যোগ্যতা এবং অসুবিধাগুলি বিবেচনা করতে বলা হয় এবং ১৯৬৬ সালে ইপিটিএ এবং বিশেষ তহবিলটি ইউএনডিপি গঠনের জন্য একত্রীভূত হয়। বহিঃসংযোগ ওয়েবসাইট ফেসবুক পাতা তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:জাতিসংঘের সহায়ক সংস্থা
জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচী
বাষ্পচালিত ইঞ্জিনকে বাষ্পীয় ইঞ্জিন বলা হয়। সুদৃঢ় আবদ্ধ স্থানে জলীয় বাষ্প তৈরি করে তার চাপ ব্যবহারের সাহায্যে বাষ্পীয় ইঞ্জিন চালানো হয়। যে স্থান বা আধারে বাষ্পীভবন করা হয় তাকে বয়লার বলে। জলীয় বাষ্প তৈরি করার জন্য জ্বালানি হিসেবে সাধারণত কয়লা, কাঠ, তেল ব্যবহৃত হয়। বাষ্পীয় ইঞ্জিনের উদ্ভাবক ছিলেন একজন স্কটিশ। নাম জেমস ওয়াট। বাষ্পীয় ইঞ্জিন উদ্ভাবনের কারণে তিনি অমর হয়ে আছেন। আরও দেখুন তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ Animated engines – Illustrates a variety of engines Howstuffworks – "How Steam Engines Work" Video of the 1900 steam engine aboard paddle steamer Unterwalden বিষয়শ্রেণী:ইঞ্জিন বিষয়শ্রেণী:শক্তির রূপান্তর
বাষ্পীয় ইঞ্জিন
১৯৩০ গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জীর একটি সাধারণ বছর যা বুধবার দিয়ে শুরু হয়েছে। নামকরণ ঘটনাবলী জানুয়ারি ফ্রেব্রুয়ারি মার্চ এপ্রিল মে জুন জুলাই আগস্ট সেপ্টেম্বর অক্টোবর নভেম্বর ডিসেম্বর অজানা/অমীমাংসিত তারিখের ঘটনাবলী জন্ম ১ জানুয়ারি - আবদুল্লাহ আল মুতী শরফুদ্দিন, বাংলাদেশের প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ, বিজ্ঞান লেখক ও বিজ্ঞান কর্মী। ৩০ জানুয়ারি - জিন হ্যাকম্যান, মার্কিন অভিনেতা ও ঔপন্যাসিক। ৮ আগস্ট - বেগম ফজিলাতুন্নেসা, বাংলাদেশের জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানের স্ত্রী ও বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মাতা। (মৃ. ১৯৭৫) মৃত্যু বিষয়শ্রেণী: nv:1901 – 1950
১৯৩০
১৯৫৪ গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জীর একটি সাধারণ বছর যা শুক্রবার দিয়ে শুরু হয়েছে। নামকরণ ঘটনাবলী জানুয়ারি-মার্চ এপ্রিল-জুন জুলাই-সেপ্টেম্বর অক্টোবর-ডিসেম্বর অজানা/অমীমাংসিত তারিখের ঘটনাবলী জন্ম জানুয়ারি-মার্চ ৬ জানুয়ারি - অ্যান্টনি মিনজেলা, ব্রিটিশ চলচ্চিত্র পরিচালক, নাট্যকার ও চিত্রনাট্যকার। (মৃ. ২০০৮) ২৯ জানুয়ারি - ওপরা উইনফ্রি, মার্কিন টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব, অভিনেত্রী, প্রযোজক ও মানবহিতৈষী। ৫ ফেব্রুয়ারি - আবুল ফাতাহ মুহাম্মদ ইয়াহইয়া, বাংলাদেশি ইসলামি পন্ডিত ও লেখক। অপরাহ উইনফ্রে,। টিভি শো হোস্ট। জ্যাকি চ্যান, চলচ্চিত্র অভিনেতা। জন ট্র্যাভোল্টা,। চলচ্চিত্র অভিনেতা। রুবি ব্রিজ,। নাগরিক অধিকারের নেতা। ডেনজেল ওয়াশিংটন,। চলচ্চিত্র অভিনেতা। হাওয়ার্ড স্টার্ন, রেডিও হোস্ট। জেরি সিনফিল্ড, কৌতুক অভিনেতা। অ্যাঞ্জেলা মের্কেল,। বিশ্ব নেতা। এপ্রিল-জুন জুলাই-সেপ্টেম্বর ৪ সেপ্টেম্বর - সাবিনা ইয়াসমিন, বাংলাদেশি সঙ্গীতশিল্পী। ১৮ সেপ্টেম্বর - স্টিভেন পিংকার, মার্কিন মনোবিজ্ঞানী। অক্টোবর-ডিসেম্বর অজানা তারিখ নাজনীন সুলতানা, বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রথম নারী ডেপুটি গভর্নর। জাতীয় পাঠ্যক্রম এবং পাঠ্যপুস্তক বোর্ড প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল মৃত্যু জানুয়ারি-মার্চ ২৫ জানুয়ারি - মানবেন্দ্রনাথ রায়, ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিষ্ঠাতা। (জ. ১৮৮৭) এপ্রিল-জুন ১০ এপ্রিল - ওগ্যুস্ত ল্যুমিয়ের, ফরাসি চলচ্চিত্র নির্মাতা ও চলচ্চিত্রের অগ্রদূত। (জ. ১৮৬২) জুলাই-সেপ্টেম্বর অক্টোবর-ডিসেম্বর ২২ অক্টোবর - জীবনানন্দ দাশ, বাঙালি কবি, লেখক ও প্রাবন্ধিক। (জ. ১৮৯৯) বিষয়শ্রেণী:
১৯৫৪
পিটার মিডাওয়ার (ফেব্রুয়ারি ২৮, ১৯১৫ - অক্টোবর ২, ১৯৮৭ ) ১৯৬০ সালে ইমিউনোলজিক্যাল টলারেন্স (Immunological tolerance) বিষয়ে তার গবেষণা কর্মের জন্য নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। জন্ম ফেব্রুয়ারি ২৮, ১৯১৫ সালে রিও ডি জেনেরিওতে জন্মগ্রহণ করেন। মৃত্যু ১৯৮৭ সালে। তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ বিষয়শ্রেণী:নোবেল বিজয়ী জীব বিজ্ঞানী বিষয়শ্রেণী:১৯১৫-এ জন্ম বিষয়শ্রেণী:১৯৮৭-এ মৃত্যু বিষয়শ্রেণী:ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন এর শিক্ষক বিষয়শ্রেণী:চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী বিষয়শ্রেণী:কপলি পদক বিজয়ী
পিটার মিডাওয়ার
তিন মাস্কেটিয়ার () ফরাসি ভাষায় আলেক্সাঁদ্র্ দ্যুমা রচিত উপন্যাস। বইটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৮৪৪ সালে। উপন্যাসটির নায়ক আরতাঁনা, অ্যাথোস,পার্থোস এবং আরামিস। এই উপন্যাসটির ধারাবাহিকতায় আরো দুইটি গ্রন্থ রচনা করেছেন আলেক্সান্ডার দ্যুমা। এর মধ্যে একটি "ম্যান ইন দ্যা আয়রন মাস্ক" চরিত্রের কারণে বিখ্যাত দ্য ভিকম্‌তে ডি ব্রাগেলোঁ, বাংলায় যার অর্থ "দশ বছর পর"। কাহিনী সংক্ষেপ মূল চরিত্র অভিযোজন সংস্করণ তথ্য সূত্র বহিঃসংযোগ থ্রি মাস্কেটিয়ার্স, অনলাইনে Ye Olde Library. থ্রি মাস্কেটিয়ার্স,পুরো লেখা এবং ইংরেজি অডিও. বিষয়শ্রেণী:ফরাসি উপন্যাস বিষয়শ্রেণী:১৮৪৪-এর উপন্যাস বিষয়শ্রেণী:১৯শ-শতকের উপন্যাস বিষয়শ্রেণী:ঐতিহাসিক উপন্যাস বিষয়শ্রেণী:পর্বক্রমে প্রথম প্রকাশিত উপন্যাস বিষয়শ্রেণী:আলেক্সাঁদ্র্ দ্যুমার উপন্যাস বিষয়শ্রেণী:চলচ্চিত্রে অভিযোজিত উপন্যাস
তিন মাস্কেটিয়ার
পুনর্নির্দেশ সেন্ট মার্টিন দ্বীপ
সেইন্ট মার্টিনস দ্বীপ
right|thumb|বাক্‌লাভার ছবি থাম্ব|ইরানীয় বাক্‌লাভা বাক্‌লাভা বা বাক্‌লাওয়া (আরবি: بقلاوة ;ফার্সি باقلوا) শব্দটির আক্ষরিক অর্থ লেগিউম তথা শিম জাতীয় বিচি, তবে শব্দটি দ্বারা মধ্যপ্রাচ্য, দক্ষিণ এশিয়া এবং বলকান অঞ্চলে বহুল প্রচলিত এক প্রকারের মিষ্টি ভাজা খাবারকে বোঝানো হয়। বাদাম কুঁচির সাথে স্তরে স্তরে ফিলো নামক ক্ষির এবং তার সাথে মিষ্টি করার জন্য চিনির শিরা বা মধু দিয়ে এটি প্রস্তুত করা হয়। thumb|বিভিন্ন ধরণের বাক্‌লাভা|alt= ইতিহাস ধরন তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:মধ্যপ্রাচ্যের খাদ্য বিষয়শ্রেণী:আরব রন্ধনশৈলী বিষয়শ্রেণী:আর্মেনীয় রন্ধনশৈলী বিষয়শ্রেণী:আজারবাইজানী রন্ধনশৈলী বিষয়শ্রেণী:বলকান রন্ধনশৈলী বিষয়শ্রেণী:গ্রীক রন্ধনশৈলী বিষয়শ্রেণী:ইরানী রন্ধনশৈলী‎ বিষয়শ্রেণী:ইরাকী রন্ধনশৈলী বিষয়শ্রেণী:ইসরাইলী রন্ধনশৈলী‎ বিষয়শ্রেণী:জর্ডানি রন্ধনশৈলী‎ বিষয়শ্রেণী:মধ্যপ্রাচ্যীয় রন্ধনশৈলী‎ বিষয়শ্রেণী:অটোমান রন্ধনশৈলী‎ বিষয়শ্রেণী:লেবাননী রন্ধনশৈলী বিষয়শ্রেণী:ফিলিস্তিনী রন্ধনশৈলী বিষয়শ্রেণী:সিরীয় রন্ধনশৈলী বিষয়শ্রেণী:তুর্কি রন্ধনশৈলী বিষয়শ্রেণী:পেস্ট্রি বিষয়শ্রেণী:বাদামের খাবার বিষয়শ্রেণী:মিষ্টান্ন
বাক্‌লাভা
কোল্ডপ্লে (ইংরেজি: Coldplay) আধুনিক রক সঙ্গীতের শীর্ষস্থানীয় ব্যান্ডগুলোর অন্যতম। ১৯৯৬ সালে ব্যান্ডটি গঠিত হয়। লন্ডন শহরে এর প্রথম আত্মপ্রকাশ ঘটে। ব্যান্ডের সদস্যরা বিশ্ববিদ্যালয়ে একে অপরের সাথে পরিচিত হয়েছিলেন। প্রধান গায়ক ক্রিস মার্টিন। কোল্ডপ্লে ২০০০ সালে তাদের গান ইয়েলোর মাধ্যমে বৈশ্বিক সাফল্য লাভ করে। একই বছর তাদের প্রথম অ্যালবাম প্যারাশুটস মুক্তি পায়। ব্যান্ডের দ্বিতীয় অ্যালবাম এ রাশ অফ ব্লাড টু দ্য হেড (২০০২) সমালোচকদের প্রশংসা লাভ করে এবং বহু পুরস্কার অর্জন করে। ২০০৫ সালে তাদের তৃতীয় অ্যালবাম এক্স অ্যান্ড ওয়াই বিশ্বব্যপী সাফল্য লাভ করে। ব্যান্ডের চতুর্থ অ্যালবাম ভিভা লা ভিডা অর ডেথ অ্যান্ড অল হিজ ফ্রেন্ডস ২০০৮ সালে মুক্তি পায়। এটির সঙ্গীত পরিচালনা করেন ব্রায়ান ইনো এবং এটি সমালোচকদের প্রশংসা লাভ করে। তাদের পঞ্চম অ্যালবাম মাইলো জাইলোটো ২০১১ সালের ২৪ অক্টোবর মুক্তি পায়। মুক্তির পরই এটি ৩৪টি দেশের চার্টের শীর্ষস্থান দখল করে। তাদের ষষ্ঠ অ্যালবাম ঘোস্ট স্টোরিস ২০১৪ সালের ১৬ মে মুক্তি পায়। কোল্ডপ্লের সপ্তম অ্যালবাম এ হেড ফুল অফ ড্রিমস ২০১৫ সালের ৪ ডিসেম্বর মুক্তি পায়। অ্যালবামের তালিকা স্টুডিও অ্যালবাম প্যারাশুটস (২০০০) এ রাশ অফ ব্লাড টু দ্য হেড (২০০২) এক্স অ্যান্ড ওয়াই (২০০৫) ভিভা লা ভিডা অর ডেথ অ্যান্ড অল হিজ ফ্রেন্ডস (২০০৮) মাইলো জাইলোটো (২০১১) ঘোস্ট স্টোরিস (২০১৪) এ হেড ফুল অফ ড্রিমস (২০১৫) ইতিহাস ১৯৯৬-১৯৯৯: গঠন এবং প্রথম বছর ভিসক্রিস মার্টিন এবং জনি বাকল্যান্ডের তাদের ওরিয়েন্টেশন সপ্তাহে ১৯৯৬ সালের সেপ্টেম্বরে ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনে (ইউসিএল) প্রথম সাক্ষাত হয়েছিল। এই জুটিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাকী বছর ব্যান্ড ব্যান্ডের পরিকল্পনায় কাটায়, শেষ পর্যন্ত পেক্টোরালজ নামে একটি গ্রুপ গঠন করে। মার্টিন এবং বাকল্যাণ্ডের সহপাঠী গাই বেরিম্যান পরে এই দলে যোগ দেন। ১৯৯৭ সাল নাগাদ, গ্রুপটি, যারা নিজের নামটি স্টারফিশ রেখেছিল, ছোট ছোট ক্লাবগুলিতে স্থানীয় ক্যামডেন প্রচারকদের জন্য জিগ সঞ্চালন করেছিল। মার্টিন তার দীর্ঘকালীন স্কুল বন্ধু ফিল হার্ভিকে, যিনি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাসিক পড়াশোনা করছিলেন, এই ব্যান্ডের পরিচালক হওয়ার জন্যও নিয়োগ করেছিলেন। কোল্ডপ্লে হার্ভিকে গ্রুপের পঞ্চম সদস্য হিসাবে গ্রহণ করেছে | উইল চ্যাম্পিয়ন যখন পার্সশন দায়িত্ব গ্রহণের জন্য যোগ দেয় তখন ব্যান্ডটির লাইন আপ সম্পন্ন হয়। চ্যাম্পিয়ন পিয়ানো, গিটার, খাদ এবং টিনের হুইসেল বাজিয়ে বড় হয়েছে; তিনি দ্রুত ড্রামস শিখলেন (কোনও পূর্ব অভিজ্ঞতা না থাকা সত্ত্বেও)। অবশেষে এই ব্যান্ডটি "কোল্ডপ্লে" নামে স্থির হয় যা টিম ক্রম্পটন তার স্থানীয় দলের নাম ব্যবহার করে যাচ্ছিল, স্থানীয় ছাত্র টিম ক্রম্পটনের পরামর্শ দিয়েছিল। ১৯৯৭ এর মধ্যে, মার্টিন ক্লাসিকের ছাত্র টিম রাইস-অক্সলির সাথে দেখা করেছিলেন। সেরে ইংলিশ গ্রাম ভার্জিনিয়া ওয়াটারে উইকএন্ডে তারা একে অপরকে পিয়ানোতে তাদের নিজস্ব গান বাজতে বলেছিল। রাইস-অক্সলেকে প্রতিভাবান বলে পরিচয় দিয়ে মার্টিন তাকে কোল্ডপ্লে-র কীবোর্ড প্লেয়ার হতে বলেছেন কিন্তু রাইস-অক্সলে তার নিজের ব্যান্ড, কেন ইতিমধ্যে সক্রিয় ছিল বলে প্রত্যাখ্যান করেছিল। পরের দিন, এই ইভেন্টটি কেনের দ্বিতীয় লাইন আপকে আকার দেবে এবং কোল্ডপ্লেকে আনলটার্ট না রেখে এভাবে উভয় ব্যান্ডকে কোয়ার্ট হিসাবে রেখে যাবে ১৯৯৮ সালে, ব্যান্ডটি ইপি সুরক্ষার ৫০০ কপি প্রকাশ করেছে ১৬ বেশিরভাগ ডিস্কগুলি রেকর্ড লেবেল এবং বন্ধুদের দেওয়া হয়েছিল; শুধুমাত্র ৫০ টি অনুলিপি জনসাধারণের কাছে বিক্রির জন্য রয়ে গেছে। সে বছরের ডিসেম্বরে, কোল্ডপ্লে স্বতন্ত্র লেবেল ফিয়ার্স পান্ডায় স্বাক্ষর করে। তাদের প্রথম মুক্তি ছিল একক "ব্রাদার্স অ্যান্ড সিস্টারস", যা তারা ফেব্রুয়ারি ১৯৯৯ এ চার দিনের বেশি রেকর্ড করেছিল। চূড়ান্ত পরীক্ষা শেষ করার পরে, কোল্ডপ্লে ১৯৯৯ এর প্রথম দিকে পার্লোফোনের সাথে একটি পাঁচটি অ্যালবাম চুক্তি স্বাক্ষর করে। গ্লাস্টনবারিতে প্রথম উপস্থিত হওয়ার পরে, ব্যান্ডটি স্টুডিওতে গিয়েছিল একটি দ্বিতীয় ইপি রেকর্ড করতে, ব্লু রুম নামে শিরোনাম। পাঁচ হাজার অনুলিপি অক্টোবরে জনসাধারণের জন্য উপলব্ধ করা হয়েছিল, এবং একক "বিগ স্ট্রংগার" বিবিসি রেডিও ১এয়ারপ্লে পেয়েছিল। ব্লু রুমের রেকর্ডিং সেশনগুলি অশান্তিপূর্ণ ছিল। চ্যাম্পিয়নকে সংক্ষিপ্তভাবে ব্যান্ড থেকে বরখাস্ত করা হয়েছিল, তবে মার্টিন পরে তাকে লাথি মেরে লাফিয়ে বেরিয়ে আসার অনুরোধ করেছিলেন এবং তার অপরাধের কারণে তিনি মদ্যপানের দ্বারস্থ হন। অবশেষে, ব্যান্ডটি তাদের পার্থক্যগুলি কার্যকর করেছে এবং গোষ্ঠীটি অক্ষত রাখার জন্য একটি নতুন নিয়ম স্থাপন করেছে। ইউ ২ এবং আর.ই.এম. এর মতো ব্যান্ড দ্বারা অনুপ্রাণিত, কোল্ডপ্লে সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে তারা গণতন্ত্র হিসাবে কাজ করবে। অতিরিক্তভাবে, ব্যান্ডটি নির্ধারিত করেছে যে তারা কঠোর ড্রাগ ব্যবহার করে এমন কাউকে বরখাস্ত করবে। তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:যুক্তরাজ্যের ব্যান্ড বিষয়শ্রেণী:পার্লোফোনের শিল্পী বিষয়শ্রেণী:আটলান্টিক রেকর্ডসের শিল্পী বিষয়শ্রেণী:এমটিভি ইএমএ বিজয়ী বিষয়শ্রেণী:ব্রিট পুরস্কার বিজয়ী বিষয়শ্রেণী:ক্যাপিটল রেকর্ডসের শিল্পী
কোল্ডপ্লে
ম্যাডেলিন অলব্রাইট (Madeleine Albright) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন পররাষ্ট্রমন্ত্রী (Secretary of State)। তিনি প্রথম মহিলা যিনি এই পদে নিযুক্ত হন। ইতঃপূর্বে তিনি জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের দূত হিসেবেও নিযুক্ত ছিলেন। তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিষয়শ্রেণী:১৯৩৭-এ জন্ম বিষয়শ্রেণী:চেক ইহুদি বংশোদ্ভূত মার্কিন ব্যক্তি
ম্যাডেলিন অলব্রাইট
নিউ হ্যাম্প্‌শায়ার () মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি অঙ্গরাজ্য। প্রথম যে তেরোটি অঙ্গরাজ্যের সমন্বয়ে যুক্তরাষ্ট্র গঠিত হয়, নিউ হ্যাম্প্‌শায়ার তার অন্যতম। তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্য
নিউ হ্যাম্প্‌শায়ার
নিউ মেক্সিকো () মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি অঙ্গরাজ্য। ১৯১২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম অঙ্গরাজ্য হিসেবে নিউ মেক্সিকো অন্তর্ভুক্ত হয়। তথ্যসুত্র বিষয়শ্রেণী:মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্য
নিউ মেক্সিকো
আর্কানসাস (ইংরেজিতে: Arkansas আর্কান্স; আ-ধ্ব-ব: [ˈaɹkənsɔ]) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি অঙ্গরাজ্য। ১৮৩৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ২৫তম অঙ্গরাজ্য হিসেবে আর্কানসাস অন্তর্ভুক্ত হয়। আরও দেখুন তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ বিষয়শ্রেণী:মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্য
আর্কানসাস
নেব্রাস্কা () মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি অঙ্গরাজ্য। ১৮৬৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ৩৭তম অঙ্গরাজ্য হিসেবে নেব্রাস্কা অন্তর্ভুক্ত হয়। নামের উৎপত্তি ইতিহাস ভৌগোলিক অবস্থান জলবায়ু জনসংখ্যা অর্থনীতি যোগাযোগ ব্যবস্থা আইন ও সরকার ব্যবস্থা গুরুত্বপূর্ণ শহর ও নগর শিক্ষাব্যবস্থা সংস্কৃতি আরও দেখুন তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ বিষয়শ্রেণী:মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্য
নেব্রাস্কা
(পোলীয় ভাষায়: Krzysztof Kieślowski) (২৭শে জুন, ১৯৪১ – ১৩ই মার্চ, ১৯৯৬) পোল্যান্ডের খ্যাতিমান চলচ্চিত্র পরিচালক ও চিত্রনাট্যকার। তার সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য সৃষ্টি দশ খন্ডের টেলিভিশন চলচ্চিত্র "ডেকালোগ" (Dekalog) এবং "থ্রি কালার্স ত্রয়ী"। চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তিনি বিশ্বজুড়ে মানুষের মিলগুলো ফুটিয়ে তুলতে চেয়েছিলেন। ক্যারিয়ারের প্রথম দিকে তার সিনেমার মূল বিষয়বস্তু ছিল রাজনৈতিক বাস্তবতা, কিন্তু পরবর্তীতে তিনি বিমূর্ত অধিবিদ্যা ও দর্শনের দিকে ঝুঁকে পড়েন। তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ বিষয়শ্রেণী:১৯৪১-এ জন্ম বিষয়শ্রেণী:১৯৯৬-এ মৃত্যু বিষয়শ্রেণী:পোলীয় চলচ্চিত্র পরিচালক
ক্রিস্তফ কিয়েশ্‌লফ্‌স্কি
ম্যাড ম্যাক্স জর্জ মিলার পরিচালিত ১৯৭৯ সালের অস্ট্রেলীয় বিজ্ঞান কল্পকাহিনিমূলক মারপিটধর্মী চলচ্চিত্র। ছবিটিতে নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন মেল গিবসন। ছবিটির কাহিনি লিখেছেন মিলার, জেমস ম্যাকুসল্যান্ড, ও বায়রন কেনেডি। মাত্র ৩০০,০০০ অস্ট্রেলীয় ডলারে নির্মিত এই ছবিটি সারা বিশ্বে ১০০ মিলিয়ন অস্ট্রেলীয় ডলারের ব্যবসা করে। ১৯৯৯ এর দি ব্লেয়ার উইচ প্রজেক্ট নির্মিত হওয়ার পূর্বে ম্যাড ম্যাক্সই ছিল আয়-ব্যয় এর আনুপাতিক হিসাবে সবচেয়ে ব্যবসা সফল ছবি। ছবিটির কাহিনী মূলতঃ প্রলয় পরবর্তী (post-apocalyptic) অরাজক পরিস্থিতি নিয়ে। উত্তর আমেরিকাতে এটি ১৯৮০ সালে মুক্তি পায়। ম্যাড ম্যাক্স ধারাবাহিকের আরো তিনটি ছবি নির্মিত হয় - ম্যাড ম্যাক্স টু (১৯৮২), বিয়ন্ড থান্ডারডোম (১৯৮৫) ও ম্যাড ম্যাক্স: ফিউরি রোড (২০১৫)। তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ বিষয়শ্রেণী:১৯৭৯-এর চলচ্চিত্র বিষয়শ্রেণী:১৯৭০-এর দশকের বিজ্ঞান কল্পকাহিনিমূলক চলচ্চিত্র বিষয়শ্রেণী:১৯৭০-এর দশকের মারপিটধর্মী চলচ্চিত্র বিষয়শ্রেণী:অস্ট্রেলীয় চলচ্চিত্র বিষয়শ্রেণী:অস্ট্রেলীয় পথ চলচ্চিত্র বিষয়শ্রেণী:অস্ট্রেলীয় বিজ্ঞান কল্পকাহিনিমূলক মারপিটধর্মী চলচ্চিত্র বিষয়শ্রেণী:জর্জ মিলার পরিচালিত চলচ্চিত্র বিষয়শ্রেণী:পরিচালনায় অভিষেক চলচ্চিত্র বিষয়শ্রেণী:ম্যাড ম্যাক্স চলচ্চিত্র
ম্যাড ম্যাক্স
আন্দোনি গইকোয়চিয়া একজন প্রাক্তন স্পেনীয় ফুটবল খেলোয়াড়। তিনি আশির দশক ও নব্বইয়ের দশকে খেলতেন। রক্ষনভাগের ভীতিপ্রদ খেলোয়াড় হিসেবে তিনি পরিচিত ছিলেন। প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়দের উপর বিপজ্জনক ফাউল করার প্রবণতা থেকে তার ডাক নাম হয় বিলবাও-এর কসাই (Butcher of Bilbao)। এক খেলায় ডিয়েগো ম্যারাডোনার পা তিনি ভেঙ্গে দিয়েছিলেন। বিষয়শ্রেণী:স্পেনীয় ফুটবলার বিষয়শ্রেণী:অ্যাথলেটিক বিলবাওয়ের ফুটবলার বিষয়শ্রেণী:অ্যাথলেটিক বিলবাও বি-এর ফুটবলার বিষয়শ্রেণী:আতলেতিকো মাদ্রিদের ফুটবলার বিষয়শ্রেণী:লা লিগার ম্যানেজার বিষয়শ্রেণী:লা লিগার খেলোয়াড়
আন্দোনি গইকোয়চিয়া
মিয়ানমার বা মায়ানমার ( মিয়ামা, আ-ধ্ব-ব: [mjəmà]); প্রাক্তন নাম ও কথ্যরূপ বর্মা বা বার্মা ( বামা, আ-ধ্ব-ব: [bəmà]); প্রাচীন নাম ব্রহ্মদেশ, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একটি রাষ্ট্র। মিয়ানমারের আনুষ্ঠানিক নাম হলো প্রজাতান্ত্রিক ঐক্যতন্ত্রী মিয়ানমার ( [pjìdàʊɴzṵ θàɴməda̰ mjəmà nàɪɴŋàɴdɔ̀] পিডাওঁযু থাঁমাডা মিয়ামা নাইঁঙাঁডও)। মিয়ানমারের রাজধানী নেপিডো (နေပြည်တော် [nèpjìdɔ̀] নেপিডও)। তৎকালীন বার্মার গণতান্ত্রিক সরকারের উৎখাতের পর ১৯৮৯ সালে সেখানকার সামরিক সরকার বার্মার নতুন নামকরণ করে "মিয়ানমার" এবং প্রধান শহর ও তৎকালীন রাজধানী রেঙ্গুনের নতুন নাম হয় "ইয়াঙ্গুন"। তবে গণতান্ত্রিক দলগুলোর অনেক অনুসারীই এই নামকরণের বিপক্ষে। ২১ অক্টোবর ২০১০ থেকে দেশটির জাতীয় সঙ্গীত ও নতুন জাতীয় পতাকা প্রবর্তন করা হয়। ব্যুৎপত্তি বার্মা নামটি ব্রহ্মদেশ নামটির সঙ্গে সম্পর্কিত। সংস্কৃত ভাষায় এই দেশটি "ब्रह्मदेश" ("ব্রহ্মদেশ") নামে পরিচিত। বর্মী ভাষায় দেশটিকে "মিয়ানমা" নামে ডাকা হয়। চৈনিক ভাষায় (মান্দারিন) এর নাম "মিআন" বা "মিআনদিআন"। আসামে একে "মান দেশ" বলে। ইতিহাস প্রাচীন ইতিহাস প্রায় ১৩ হাজার বছর আগে বর্তমান মিয়ানমারে জনবসতির অবস্থান সর্ম্পকে জানা যায়। পিয়ু নামের উপজাতিরা ১ম শতকে বার্মা এলাকাতে দক্ষিণ দিকের ইরাবতী উপত্যকা দিয়ে প্রবেশ করে। অপর দিকে উত্তর দিক দিয়ে মুন জাতি প্রবেশ করে। ৯ম শতকে "মিরানমা" জাতি ইরাবতী উপত্যকার উপরে বসবাস শুরু করে। পাগান রাজ্য ও টংগু সাম্রাজ্য thumb|টঙ্গু সাম্রাজ্য (১৫৮০)। ১৩ শতকের দিকে মায়ানমারে কয়েকটি বিচ্ছিন্ন রাজ্য সৃষ্টি হয়। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল: আভা, আরাকান, হানথাবতী প্রভৃতি। টঙ্গু সাম্রাজ্য প্রথম ১৫শ শতকে বার্মাকে একত্রীকরণ করে। ১৮শ শতকে ব্রিটিশরা বার্মা দখল করে নেয়। ১৯৪৮ সালে বার্মা স্বাধীনতা লাভ করে। ১৯৬২ সালে দেশটিতে প্রথম সামরিক সরকার ক্ষমতায় অসীন হয়। মোন গোষ্ঠীকে ইরাওয়াদি (সংস্কৃত ইরাবতী) উপত্যকায় আবাস গড়া প্রথম জনগোষ্ঠী মনে করা হয়। খ্রীস্টপূর্ব নবম শতকের মাঝে তারা দক্ষিণ মায়ানমারে আধিপত্য বিস্তার করে। খ্রীস্টপূর্ব প্রথম শতকে পিয়ুদের আগমন ঘটে। খ্রীস্টিয় অষ্টম শতকে তারা নানঝাও রাজ্যের আক্রমণের শিকার হয়। খ্রীস্টিয় নবম শতকের পূর্বে কোনসময়ে বর্মীরা বর্তমান তিব্বত থেকে ইরাওয়াদি উপত্যকায় আসা শুরু করে। ৮৪৯ সালের মধ্যে তারা পাগানকে কেন্দ্র করে শক্তিশালী রাজ্য গড়ে তোলে যা একসময় বর্তমান মায়ানমারের প্রায় সম্পূর্ণ এলাকাজুড়ে বিস্তার লাভ করে। ১১০০ সালের মধ্যে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বৃহৎ এলাকা তাদের নিয়ন্ত্রণে আসে। দ্বাদশ শতাব্দীর শেষাংশে কুবলাই খান পাগান রাজ্য দখল করেন। ১৩৬৪ সালে বর্মীরা রাজত্ব পুনরুদ্ধার করে। কোনবং রাজবংশের শাসন (১৭৫২-১৮৮৫) ব্রিটিশ বার্মা (১৮৮৫ - ১৯৪৮) thumb| ব্রিটিশ বার্মার প্রশাসনিক মানচিত্র (১৯৩১)। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে মিয়ানমারে জাপানিদের কাছে আত্মসমর্পণ করেছিল ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শক্তি। রেঙ্গুন তথা বার্মা ১৯৪২-৪৫ পর্যন্ত সময়ে জাপানিদের দখলে ছিল। জাপানিদের তত্ত্বাবধানেই তৈরি হয়েছিল বার্মা ইনডিপেনডেন্ট আর্মি। জাপানি বাহিনীকে সহযোগিতা করেছিলেন জেনারেল অং সান এবং বার্মা ইনডিপেনডেন্ট আর্মি। তাদের উদ্দেশ্য ছিল তৎকালীন বার্মা থেকে ব্রিটিশ শাসনের উৎখাত। পরে জাপানিদেরও বিতাড়িত করে বার্মাকে স্বাধীন করা। ওই সময়ে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বোস কয়েকবার অং সানের সঙ্গে রেঙ্গুনে গোপন বৈঠকও করেছিলেন। দুজনের মধ্যে একধরনের সিদ্ধান্ত হয়েছিল একযোগে ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে স্ব-স্ব দেশকে স্বাধীন করতে কাজ করার। এ দুজনের মধ্যে মধ্যস্থতায় ছিলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত মি. দিনা নাথ, যাঁর বার্মিজ নাম ছিল দত্ত কাহন থেইন থেইয়েন। তিনি তার রেঙ্গুনের বাড়িটির একাংশ ছেড়ে দিয়েছিলেন অং সানকে তার অফিস হিসেবে ব্যবহার করতে। এখানেই গোপন বৈঠক হয় সুভাষ বোস ও অং সানের। ‘হাউস অব মেমোরি’ নামে পরিচিত এবং বার্মার তথা ভারতের স্বাধীনতাসংগ্রামের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। মি. দিনা নাথ পরে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত দিল্লির লাল কেল্লায় এক বছর কারাভোগে ছিলেন। পরে দিনা নাথকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নেহেরু ভারতের সর্বোচ্চ খেতাবে ভূষিত করেছিলেন। thumb| জাপানি সৈন্যরা অধিকৃৃত বার্মায়। তৎকালীন বার্মা ভারতের স্বাধীনতার প্রায় এক বছর পর ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি স্বাধীনতা লাভ করে। জেনারেল অং সান স্বাধীনতার কয়েক মাস আগে জুলাই ১৯৪৭ সালে কথিত বিরোধী আততায়ীর হাতে মৃত্যুবরণ করেন। আততায়ীর হাতে মৃত্যুর আগে অং সান যে কয়টি কাজ করে গিয়েছিলেন তার মধ্যে প্রধান ছিল বার্মার পূর্ণ স্বাধীনতা নিশ্চিতকরণ এবং বিবদমান তিনটি গোষ্ঠীর—শান, কারেন ও চিনাদের সঙ্গে স্বায়ত্তশাসন নিয়ে একটি সমঝোতায় পৌঁছানো। এসব উপজাতীয় অঞ্চল এবং উপজাতীয়রা ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শক্তির সঙ্গে সহযোগিতায় ছিল, বিশেষ করে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়, স্বাধীন সত্তা হিসেবে আত্মপ্রকাশের জন্য। কিন্তু তেমনটা ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শক্তি করেনি। কেন ওই সব অঞ্চলকে স্বাধীন করেনি তার প্রধান কারণ চীনের সঙ্গে বর্তমানে এই তিন রাজ্যের ভূকৌশলগত অবস্থান। অং সান পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতার যে সংগ্রামে লিপ্ত ছিলেন, তার অন্যতম সহযোগী ছিলেন বেশ কয়েকজন রোহিঙ্গা নেতা, যাঁরা নিজেরাও ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে ছিলেন। এছাড়াও অং সানের বিপ্লবী কার্যকলাপের অন্যতম সাথীদের একটা বিরাট অংশই ছিল বাঙালী। কর্মসূত্রে প্রচুর বাঙালী বর্মার বিভিন্ন অঞ্চলে থাকতেন, তাদের মধ্যে কিছু সাম্যবাদী চিন্তাধারার তরুন বর্মা কমিউনিস্ট পার্টির গুরুত্বপূর্ণ স্থান অলংকৃত করেছিলেন। হরিনারায়ণ ঘোষাল, ডাক্তার অমর নাগ, সুবোধ মুখার্জী, অমর দে প্রমুখ ছিলেন অং সানের সাথী বাঙালি বিপ্লবী নেতা। ১৯৪৭ সালে অং সান ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ক্লেমেন্ট এটলির সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করে বার্মার স্বাধীনতা নিশ্চিত করেন। এর ঠিক দুই সপ্তাহ পরে অং সান প্যানগ্লোনগ কনফারেন্সে তিন গ্রুপের সঙ্গে স্বায়ত্তশাসন নিশ্চিত করার চুক্তি করেন। কারণ, তিনি ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক প্রশাসকদের বার্মা বিভাজনের কোনো অজুহাতই দিতে চাননি। thumb|মেজর জেনারেল অং সান (১৯১৫-১৯৪৭), মায়ানমারের স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রধান নেতা ও সমরনায়ক। স্বাধীনতা-পরবর্তী যুগ (১৯৪৮-১৯৬২) thumb|৪ জানুয়ারি, ১৯৪৮ সালে মিয়ানমারের স্বাধীনতা দিবস অনুষ্ঠানে ব্রিটিশ বার্মার শেষ গভর্নর হাবার্ট র‍্যান্স এবং তার সঙ্গে স্বাধীন বার্মার প্রথম রাষ্ট্রপতি শ্বে থাইক। thumb|উ নু, স্বাধীন বার্মার প্রথম প্রধানমন্ত্রী হন ১৯৪৮ সালে। বার্মা স্বাধীন হয়েছিল অং সানের মৃত্যুর পর। ১৯৪৮ থেকে ১৯৬২ পর্যন্ত বার্মা চারটি বহুদলীয় নির্বাচন দেখেছে কিন্তু অং সানের সঙ্গে সম্পাদিত তিন প্রধান উপজাতীয়দের সঙ্গে চুক্তি বাস্তবায়িত হয়নি। উপরন্তু বিদ্রোহ ছড়িয়ে পড়ে অন্যান্য অঞ্চলে, যার মধ্যে রোহিঙ্গা–অধ্যুষিত আরাকান, যার বর্তমান নাম রাখাইন অঞ্চলও যুক্ত হয়। সমাজতন্ত্র ও সামরিক শাসন (১৯৬২-২০১১) thumb|নে উইন, মিয়ানমারের প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি। মিয়ানমারে ২৫ বছরের সমাজতান্ত্রিক শাসনের তিনিই সূচনা করেন। ১৯৬২ সালের ২ মার্চ মিয়ানমারের সামরিক জান্তা ক্ষমতা দখল করে। সামরিক জান্তার প্রধান ছিলেন নে উইন। তারা ২৭ মে ১৯৯০ সালে প্রথম নির্বাচন দেয়। এ নির্বাচনে অং সান সু চি এর দল "ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি" ৪৯২ টি অাসনের মধ্যে ৩৯২টি আসন পায়। কিন্তু নির্বাচনী আইনের মাধ্যমে তা বাতিল করা হয়। রেঙ্গুন নামটি ১৯৮৯ সালে সামরিক শাসকেরা পরিবর্তন করে রাখেন ইয়াঙ্গুন। নভেম্বর ২০০৫ সালে ইয়াঙ্গুন দেশের রাজধানীর মর্যাদা হারায়। বর্তমানে বার্মা বা মিয়ানমারের রাজধানী ইয়াঙ্গুন থেকে প্রায় ৬০০ কিলোমিটার দূরে অত্যন্ত পরিকল্পিত নতুন শহর নেপিডোতে। ২০১১-বর্তমান থিন সিনের রাষ্ট্রপতিত্ব thumb|থিন সিন, গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত মিয়ানমারের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী, অনেকেই তাকে সামরিক জান্তা সরকারের পতনের পর মিয়ানমারের সাংবিধানিক পূণর্গঠনের অগ্রদূত মনে করেন। অং সান সূ চীর শাসনামল (২০১৬-২০২১) thumb|অং সান সু চি, মিয়ানমারের প্রথম রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা হন ২০১৬ সালে। সামরিক শাসন (২০২১-বর্তমান) ২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থান thumb| জেনারেল মিন অং হ্লাইং, ২০২১ সালে সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হন তিনি। রাজনীতি thumb|মিয়ানমারের জাতীয় সংসদ- অ্যাসেম্বলি অফ দ্য ইউনিয়ন। সুদীর্ঘ সামরিক শাসনের ইতি ঘটিয়ে ২০১৬ সালের সাধারণ নির্বাচনে জয়ী হয়ে গণতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থা চালু হয়েছে। প্রধান রাজনৈতিক দলগুলি হলো ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসি এবং ইউনিয়ন সংহতি ও উন্নয়ন পার্টি। ২০০৮ সালের মে মাসে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী খসড়া সংবিধান অনুমোদিত হয়েছিল। ২৯ মিলিয়ন ভোটারের মধ্যে ৯৯.৪% সরকারী ভোটগ্রহণের ৯৯.৪%, বহু আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক এবং ন্যাশনাল লিগ অফ ডেমোক্রেসি কর্তৃক বিস্তৃত রিপোর্টের দ্বারা সন্দেহজনক বলে গণ্য হয়েছে জালিয়াতি, ব্যালট স্টাফিং এবং ভোটারদের ভয় দেখানো। ২০১০ সালের নির্বাচনের ফলে সামরিক-সমর্থিত ইউনিয়ন সংহতি ও উন্নয়ন দলের পক্ষে একটি বিজয় হয়েছিল। বিভিন্ন বিদেশী পর্যবেক্ষকরা নির্বাচনের ন্যায্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। নির্বাচনের একটি সমালোচনা ছিল যে কেবল সরকার অনুমোদিত অনুমোদিত রাজনৈতিক দলগুলিকে এতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল এবং গণতন্ত্রের জনপ্রিয় জাতীয় লীগকে অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছিল। তবে নির্বাচনের অবিলম্বে সরকার গণতন্ত্রের অ্যাডভোকেট এবং জাতীয় লীগ ফর ডেমোক্রেসির নেতা অং সান সু চি'র গৃহবন্দীকরণের অবসান ঘটিয়েছে এবং দেশজুড়ে অবাধে চলাফেরা করার ক্ষমতাটিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা হিসাবে বিবেচনা করা হয় আরও খোলামেলা দিকে সামরিক আন্দোলন। ২০১১ সালে অপ্রত্যাশিত সংস্কারের পরে, এনএলডি জ্যেষ্ঠ নেতারা একটি রাজনৈতিক দল হিসাবে নিবন্ধকরণ এবং ভবিষ্যতে উপনির্বাচনে প্রার্থী দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। মিয়ানমারের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক ইতিহাস বিরোধী দলগুলির মধ্যে গণতান্ত্রিক কাঠামো প্রতিষ্ঠা করার সংগ্রামের দ্বারা আচ্ছাদিত। নিবিড়ভাবে অনুষ্ঠিত সামরিক শাসন থেকে একটি মুক্ত গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় এই রাজনৈতিক রূপান্তর মিয়ানমারের ভবিষ্যত নির্ধারণ করে বলে ব্যাপকভাবে বিশ্বাস করা হয়। ২০১৫ সালের সাধারণ নির্বাচনে অং সান সু চির ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসির অবিচ্ছিন্ন বিজয় এই উত্তরণের সফল সমাপ্তির জন্য আশা জাগিয়ে তুলেছে। মায়ানমার দুর্নীতি অনুধাবন সূচকে দুর্নীতিগ্রস্থ দেশ হিসাবে বিশ্বব্যাপী ১৬৬ টি দেশের মধ্যে ১৩৩ তম স্থান পেয়েছে এবং ২০১ -2016 সালের মধ্যে ১ ম সংখ্যায় সবচেয়ে কম দুর্নীতিগ্রস্থ হয়েছে। সামরিক শক্তি মায়ানমার সামরিক বাহিনী তাতমাডও নামে পরিচিত। মিগ্-২৯SM ধরণের ৩০ টি যুদ্ধ বিমান রয়েছে যা বিমান বাহিনীর প্রধান যুদ্ধবহর। নৌবহরে ভারতীয় সিন্ধুবীর ডুবোজাহাজ ক্রয়ের কথা চলছে। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক thumb|উ থান্ট, একজন বর্মী রাজনীতিবিদ ও জাতিসংঘের তৃৃতীয় মহাসচিব। thumb|মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট থিন সিন এবং রেঙ্গুন সফররত হিলারি ক্লিন্টন ভারত বাংলাদেশ উত্তর কোরিয়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চীন ১৯৪৯ সালে চীনের কমিউনিস্ট পার্টি ক্ষমতায় আসার পর থেকে ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত চীনের সঙ্গে বৈরী সম্পর্ক ছিল মিয়ানমারের। মিয়ানমারের অভ্যন্তরে বিদ্রোহী কমিউনিস্ট পার্টি অব বার্মা (সিপিবি)-এর মূল পৃষ্ঠপোষক ছিল চীন। ১৯৭৮ সালে চীনা নেতা দেং জিয়াও পেং মায়ানমার সফরে আসেন। ১৯৮৬ তে সিপিবির ওপর থেকে সম্পূর্ণ সমর্থন তুলে নেয় চীন। বৈরী সম্পর্ক দারুণভাবে সহযোগিতার দিকে নতুন মোড় নেয়। তারা তেল-গ্যাস, খনিজ সম্পদসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিনিয়োগসহ বাণিজ্যিক সুবিধা পায়। এ সময় চীন সামরিকভাবে মিয়ানমারকে সহায়তা করতে থাকে। ১৯৮৯ সালে মিয়ানমার চীন থেকে ১.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম ক্রয় করে। ভারতের ওপর ভূরাজনৈতিক কৌশলগত সুবিধা বাড়াতে মায়ানমারের সঙ্গে সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হয় চীনের। মায়ানমারের অভ্যন্তরে জাতিগত বিদ্রোহ, বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন দমনে মায়ানমারকে বহুমুখী সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় চীন। চীনের সমর্থন মায়ানমারের সামরিক জুন্তাকে অধিকতর শক্তিশালী করে। তারা এই সুযোগকে ব্যবহার করে দেশের মধ্যে যেমন তাদের ক্ষমতা বাড়ায়, তেমনি একটি শক্তিশালী সমরশক্তির দেশ হিসেবে গড়ে উঠতে চীনের সর্বোচ্চ সহায়তা পেতে থাকে। সোভিয়েত ইউনিয়ন প্রশাসনিক অঞ্চলসমূহ thumb|মিয়ানমারের প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনা মায়ানমার দেশটি মূল মিয়ানমার অঞ্চল এবং আরও সাতটি রাজ্য নিয়ে গঠিত। এগুলি হলো চিন, কাচিন, কারেন, মন, রাখাইন (আরাকান) এবং শান। মূল বার্মা সাতটি বিভাগে বিভক্ত - ইরাবতী, মাগওয়ে, মান্দালয়, ব্যাগো, রেংগুন, সাগাইং, এবং তেনাসসেরিম। ভূগোল thumb|মিয়ানমারের একটি টপোগ্রাফিক মানচিত্র। আয়তন ও ভূ-প্রকৃৃতি মিয়ানমারের মোট আয়তন ৬৭৬,৫৫২ বর্গকিলোমিটার। উত্তর-দক্ষিণে এর দৈর্ঘ্য প্রায় ২,০৮৫ কিলোমিটার। পূর্ব-পশ্চিমে এর সর্বোচ্চ বিস্তার প্রায় ৯৩০ কিলোমিটার। উপকূলীয় এলাকাটি নিম্ন মিয়ানমার এবং অভ্যন্তরীণ অংশটি ঊর্ধ্ব মিয়ানমার নামে পরিচিত। অশ্বখুরাকৃতি পর্বতব্যবস্থা ও ইরাবতী নদীর উপত্যকা দেশটির ভূ-সংস্থানের প্রধান বৈশিষ্ট্য। উত্তরের পর্বতগুলির সর্বোচ্চ শৃঙ্গ হকাকাবো রাজি-র উচ্চতা ৫,৮৮১ মিটার। এটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সর্বোচ্চ শৃঙ্গ। আরও দুইটি পর্বতব্যবস্থা উত্তর থেকে দক্ষিণে বিস্তৃত। আরাকান ইয়োমা পর্বতমালাটি মিয়ানমার ও ভারতীয় উপমহাদেশের মধ্যে একটি প্রাচীরের সৃষ্টি করেছে। এর পর্বতগুলির উচ্চতা প্রধানত ৯১৫ মিটার থেকে ১,৫২৫ মিটার পর্যন্ত হয়। অন্যদিকে শান মালভূমি থেকে বিলকাতং পর্বতশ্রেণীটি প্রসারিত হয়ে দক্ষিণ-পূর্ব নিম্ন মিয়ানমার এবং দক্ষিণ-পশ্চিম থাইল্যান্ডের সীমান্ত বরাবর চলে গেছে। শান মালভূমিটি চীন থেকে প্রসারিত হয়েছে এবং এর গড় উচ্চতা প্রায় ১,২১৫ মিটার। মিয়ানমারের অভ্যন্তরভাগে কেন্দ্রীয় নিম্নভূমিগুলি মূলত সরু ও দীর্ঘ। এগুলি ইরাবতী-সিত্তাং নদীর ব-দ্বীপ এলাকায় প্রায় ৩২০ কিলোমিটার প্রশস্ত। এই ব-দ্বীপীয় সমভূমিগুলি অত্যন্ত উর্বর এবং দেশের সবচেয়ে অর্থনৈতিক গুরুত্ববিশিষ্ট অঞ্চল। এদের মোট আয়তন প্রায় ৪৭,০০০ বর্গকিলোমিটার। মিয়ানমারের উত্তর-পশ্চিমের আরাকান উপকূল এবং দক্ষিণ-পশ্চিমের তেনাসসেরিম উপকূল উভয়েই শিলাময় এবং এগুলির কাছে অনেক দ্বীপ অবস্থিত। মিয়ানমারে বেশ কিছু উৎকৃষ্ট প্রাকৃতিক পোতাশ্রয় আছে। সীমানা মায়ানমার ৬৭৮,৫০০ বর্গকিলোমিটার (২৬১,৯৭০ বর্গমাইল) এলাকাজুড়ে বিস্তৃত। মায়ানমারের পশ্চিমে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বিভাগ এবং ভারতের মিজোরাম, উত্তর-পশ্চিমে ভারতের আসাম, নাগাল্যান্ড ও মণিপুর অবস্থিত। মায়ানমারের সীমানার উত্তর-পূর্বাংশের ২,১৮৫ কিলোমিটার জুড়ে আছে তিব্বত এবং চীনের ইউনান প্রদেশ। দক্ষিণ-পূর্বে রয়েছে লাওস ও থাইল্যান্ড। দক্ষিণ-পশ্চিম এবং দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর ও আন্দামান সাগরের সাথে মায়ানমারের ১,৯৩০ কিলোমিটার উপকূল রেখা রয়েছে। আবহাওয়া ও জলবায়ু মায়ানমারের অধিকাংশই কর্কটক্রান্তি ও বিষুবরেখার মাঝে অবস্থিত। ব-দ্বীপ অঞ্চলে বার্ষিক বৃষ্টিপাতের পরিমাণ প্রায় ২,৫০০ মিলিমিটার (৯৮ ইঞ্চি), তবে মধ্য মায়ানমারের শুষ্ক এলাকায় তা ১,০০০ মিলিমিটারের কম। উত্তরের অপেক্ষাকৃত শীতল এলাকায় গড় তাপমাত্রা ২১ °সেলসিয়াস। উপকূলীয় ও ব-দ্বীপ এলাকায় গড় তাপমাত্রা ৩২ °সেলসিয়াস। জীবজগৎ উদ্ভিদজগৎ মূল্যবান সেগুন ও বিষুবীয় গাছপালায় ভরা বন মায়ানমারের শতকরা ৪৯ ভাগের বেশি এলাকা জুড়ে রয়েছে। অন্যান্য গাছের মধ্যে রাবার, বাবলা, বাঁশ, ম্যানগ্রোভ, নারিকেল উল্লেখযোগ্য। উত্তরাঞ্চলে ওক, পাইন ইত্যাদি রয়েছে বিপুল পরিমাণে। প্রাণীজগৎ বন্য জীবজন্তুর মধ্যে বাঘ, বুনো মহিষ, মেঘলা চিতা, বুনো শূকর, শিয়াল, হরিণ, কৃষ্ণসার, হাতি, উল্লুক, বানর, চামচিকা, বনরুই এবং কলাবাদুড় পাওয়া যায়। আটশ'রও বেশি প্রজাতির পাখি পাওয়া যায় যার মাঝে আছে সবুজ টিয়া, পাতি ময়না, ময়ূর, লাল বনমোরগ, বাবুই, কাক, বক, মানিকজোড়, লক্ষ্মীপেঁচা প্রভৃতি। সরীসৃপের মাঝে রয়েছে কুমির, তক্ষক, গুই সাপ, অজগর, শঙ্খচূড়, কচ্ছপ প্রভৃতি। স্বাদু পানির মাছ পাওয়া যায় বিপুল পরিমাণে, যা এখানকার খাদ্যের গুরুত্বপূর্ণ উৎস। অর্থনীতি thumb|মিয়ানমারের কৃৃষকেরা ধান রোপন করছে। thumb|ইয়াঙ্গুনে অবস্থিত জংশন সিটি টাওয়ার। কয়েক দশক স্থবিরতা, অব্যবস্থাপনা এবং বিচ্ছিন্নতায় ভুগতে মিয়ানমার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যতম দরিদ্র দেশ। আধুনিক প্রযুক্তিতে দক্ষ শিক্ষিত লোকবলের অভাব মিয়ানমারের অর্থনীতিতে বাধা সৃষ্টি করেছে, যদিও বিদেশী দেশ ও সংস্থার সহযোগিতায় নতুন সরকার দ্বারা চালিত সাম্প্রতিক সংস্কার ও বিকাশ এটিকে অতীতের বিষয়টিকে পরিণত করার লক্ষ্য নিয়েছে। রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মতাদর্শগত লড়াই জীবনযাত্রাকে প্রভাবিত করেছে। কয়েক দশক গৃহযুদ্ধ এবং অশান্তি মিয়ানমারের বর্তমান স্তরের দারিদ্র্য এবং অর্থনৈতিক অগ্রগতির অভাবকে অবদান রেখেছে। ব্যক্তিগত জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় মানবিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক অবকাঠামোগত উন্নতি মনোনিবেশিত সরকারী প্রচেষ্টা গ্রহণ করতে পারেনি। মিয়ানমারে পর্যাপ্ত অবকাঠামোগত অভাব রয়েছে। জিনিসপত্র মূলত থাই সীমান্তের ওপারে (যেখানে বেশিরভাগ অবৈধ ওষুধ রফতানি হয়) এবং ইরাবতী নদীর তীরে। রেলপথ পুরানো এবং প্রাথমিক, 19 তম শতাব্দীর শেষের দিকে নির্মাণের পর থেকে কয়েকটি মেরামত করে প্রধান শহরগুলি বাদে মহাসড়কগুলি সাধারণত অপরিবর্তিত থাকে। ২০১০-১১ সালে বাংলাদেশ মিয়ানমারকে 179 ডলার আমদানির বিপরীতে $ 9.65 মিলিয়ন ডলারের পণ্য রফতানি করেছিল মিলিয়ন। 2000 এর দশকে মিয়ানমারে চিকিৎসা এবং চিকিৎসা সরঞ্জামের বার্ষিক আমদানি ছিল 160 মিলিয়ন মার্কিন ডলার। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে, চীন এবং ভারত উভয়ই অর্থনৈতিক সুবিধার জন্য মিয়ানমার সরকারের সাথে সম্পর্ক জোরদার করার চেষ্টা করেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ অনেক দেশ মিয়ানমারের উপর বিনিয়োগ ও বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন ২০১২ সালে তাদের বেশিরভাগ নিষেধাজ্ঞাকে হ্রাস করেছে বৈদেশিক বিনিয়োগ মূলত চীন, সিঙ্গাপুর, ফিলিপাইন, দক্ষিণ কোরিয়া, ভারত এবং থাইল্যান্ড থেকে আসে। দেশের সমস্ত বড় শিল্প কর্পোরেশনগুলিতে (তেল উৎপাদন এবং ভোগ্যপণ্য থেকে শুরু করে পরিবহন ও পর্যটন পর্যন্ত) তাতমাদও (মিয়ানমারের মিলিটারি) সর্বাধিক অংশীদারদের অবস্থান রয়েছে। জনসংখ্যা শিক্ষাব্যবস্থাপনা স্বাস্থ্যব্যপস্থাপনা সংস্কৃৃতি ভাষা thumb|মিয়ানমারের প্রধান জনগোষ্ঠীসমূহের ভাষা। বর্মী ভাষা মায়ানমারের সরকারী ভাষা। বর্মী ভাষাতে মায়ানমারের প্রায় ৮০% লোক কথা বলেন। এছাড়াও মায়ানমারে স্থানীয় আরও প্রায় ১০০টি ভাষা প্রচলিত। এদের মধ্যে কারেন ভাষারসহ বেশ কিছু উপভাষা (প্রায় ৩০ লক্ষ বক্তা) এবং শান ভাষার উপভাষাগুলি (প্রায় ৩০ লক্ষ বক্তা) উল্লেখযোগ্য। সংখ্যালঘু ভাষাগুলির মধ্যে আরাকানি ভাষা, চিন ভাষার বিভিন্ন উপভাষা, জিংপো ভাষা,রোহিঙ্গা ভাষা, লু ভাষা এবং পারাউক ভাষা উল্লেখযোগ্য। ধর্ম পোষাক-পরিচ্ছদ স্থাপত্যশিল্প রন্ধনশৈলী খেলাধুলা ফুটবল,ব্যাডমিন্টন,বেসবল এবং ক্রিকেট আরো দেখুন মায়ানমার-সম্পর্কিত নিবন্ধ সূচী তথ্যসূত্র গ্রন্থপঞ্জি বহিঃসংযোগ সরকার myanmar.gov.mm Chief of State and Cabinet Members. Last Updated: 18 Oct 2012 from the Central Intelligence Agency (CIA) সাধারণ তথ্য General information about Myanmar Burma Myanmar search Engine Burma from UCB Libraries GovPubs Burma profile from the BBC News Myanmar at Encyclopædia Britannica Interactive timeline of turning points in Burmese history Key Development Forecasts for Myanmar from International Futures Online Burma/Myanmar Library: Classified and annotated links to more than 17,000 full-text documents on Burma/Myanmar অর্থনীতি Taipei American Chamber of Commerce; Topics Magazine, Analysis, November 2012. Myanmar: Southeast Asia's Last Frontier for Investment, By David DuByne কৃষি Myanmar Business Today; Print Edition, 27 February 2014. A Roadmap to Building Myanmar into the Food Basket of Asia, by David DuByne & Hishamuddin Koh Myanmar Business Today; Print Edition, 19 June 2014. Myanmar’s Institutional Infrastructure Constraints and How to Fill the Gaps, by David DuByne & Hishamuddin Koh বাণিজ্য World Bank Summary Trade Statistics Myanmar বিষয়শ্রেণী:দক্ষিণ এশিয়া বিষয়শ্রেণী:এশিয়ার রাষ্ট্র‎ বিষয়শ্রেণী:মিয়ানমার বিষয়শ্রেণী:জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্র বিষয়শ্রেণী:সাবেক সমাজতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র
মিয়ানমার
right|thumb|আমেরিকার হোয়াইট হাউসে জুলফিকার আলী ভুট্টো জুলফিকার আলী ভুট্টো (জানুয়ারি ৫, ১৯২৮ – এপ্রিল ৪, ১৯৭৯) পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী। ১৯৫৮ সালে তিনি মন্ত্রী সভায় যোগ দেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রীর দায়িত্ব পান ১৯৬৩ সালে। আইয়ুব খানের মন্ত্রিসভা ত্যাগ করে ১৯৬৭ সালে নিজে আলাদা দল গঠন করেন যার নাম দেয়া হয় পাকিস্তান পিপলস্‌ পার্টি। ১৯৭০ সালে পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে তার দল পশ্চিম পাকিস্তানে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। কিন্তু পূর্ব পাকিস্তানের আওয়ামী লীগ সার্বিক সংখ্যা গরিষ্ঠতা অর্জন করা সত্ত্বেও তাদের উপর ক্ষমতা অর্পণে ভুট্টো আপত্তি তুলেন। ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে পাকিস্তানের পরাজয়ের পর ভুট্টো ইয়াহিয়া খানের স্থলে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট হন। ১৯৭৩ সালে দেশের সংবিধান পরিবর্তনের মাধ্যমে তিনি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর পদ গ্রহণ করেন। ১৯৭৭ সালে পুনরায় প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। কিন্তু অল্পদিনের মধ্যেই জেনারেল জিয়াউল হক দ্বারা সংঘটিত এক সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যূত হন। এক ব্যক্তিকে হত্যার ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগে ১৯৭৯ সালে সামরিক আদালত তাকে মৃত্যুদন্ডে দন্ডিত করে। তিনি পাকিস্তান পিপলস্‌ পার্টির প্রধান ছিলেন। তার মেয়ে বেনজির ভুট্টো পরে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হন। তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ বিষয়শ্রেণী:১৯২৮-এ জন্ম বিষয়শ্রেণী:১৯৭৯-এ মৃত্যু বিষয়শ্রেণী:পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বিষয়শ্রেণী:পাকিস্তানি রাজনীতিবিদ বিষয়শ্রেণী:ভুট্টো পরিবার বিষয়শ্রেণী:স্নায়ুযুদ্ধের নেতা বিষয়শ্রেণী:সিন্ধি ব্যক্তি
জুলফিকার আলী ভুট্টো
পুনর্নির্দেশ ৩ জানুয়ারি
৩রা জানুয়ারি
আলু বহুল প্রচলিত উদ্ভিজ্জ খাদ্য। এটি কন্দজাতীয় (tuber) এক প্রকারের সবজি, যা মাটির নিচে জন্মে। এর আদি উৎস ভারত, এশিয়া মহাদেশ, সেখান থেকে ১৬শ শতকে এটি সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। উচ্চ পুষ্টিমান এবং সহজে ফলানো ও সংরক্ষণ করা যায় বলে এটি বিশ্বের সর্বাপেক্ষা প্রচলিত সবজিগুলোর মধ্যে অন্যতম। এটি পৃথিবীর চতুর্থ বৃহত্তম খাদ্যশস্য, এর আগে রয়েছে যথাক্রমে ভুট্টা, গম এবং চাল। পৃথিবীর খাদ্য হিসেবে সর্বপ্রথম আলুর নির্দশন ভারতের বাংলায় দেখা যায়। পালযুগের কবি সন্ধ্যাকর নন্দীর রামচরিতে বারাহী কন্দের উল্লেখ আছে। এই বারাহী কন্দ হল উচ্চমানের আলু, রতিকান্ত্র ত্রিপাঠী জানাচ্ছেন "প্রাচীন বাংলার শিলা ও তাম্রলিপিতে সমাজ ও সংস্কৃতি" বইটিতে। পুষ্টি ও গুণাগুণ আলু একটি সুষম ও পুষ্টিকর খাবার।প্রতি ১০০ গ্রাম আলুতে শর্করা আছে ১৯ গ্রাম, খাবার আঁশ ২.২ গ্রাম, উদ্ভিদ প্রোটিন ২ গ্রাম, খনিজ লবণ ০.৫২ গ্রাম যার মধ্যে পটাশিয়াম লবণই ০.৪২ গ্রাম, এবং ভিটামিন ০.০২ গ্রাম। অপরদিকে ১০০ গ্রাম চালে ৮০ গ্রাম শর্করা, খাবার আঁশ ১.৩ গ্রাম, উদ্ভিজ্জ্জ প্রোটিন ৭.১৩ গ্রাম, খনিজ লবণ ০.২৮ গ্রাম এবং ভিটামিন আছে মাত্র ০.০০২ গ্রাম। দেহকে শক্তিশালী করতে বিশেষ করে প্লীহা আর পাকস্থলীর কর্মক্ষমতা বাড়াতে আলু বিশেষ কার্যকর। বৃক্কের কার্যক্ষমতায় ঘাটতির সমস্যায় এই উদ্ভিদ কাজে লাগে। রাতকানা রোগের ক্ষেত্রেও এর উপকারিতা লক্ষ করা যায়। সে ক্ষেত্রে রোগীকে প্রাণীর, বিশেষ করে খাসির কলিজার সাথে মিষ্টি আলু খাওয়াতে হয়। গ্রামে, এমন কি শহরেও আগুনে পুড়িয়ে কিছুটা পোড়া পোড়া করে মিষ্টি আলু খাওয়ার প্রচলন আছে। এই পদ্ধতি সাধারণ সর্দি-কাশির উপশমে কার্যকর। আলুতে রয়েছে শর্করা, আমিষ, কলয়েড পদার্থ, ভিটামিন বি আর সি, পটাসিয়াম আর সোলানিন। গোল আলুর উপকারিতা অনেকটা মিষ্টির আলুর মতোই। তবে কিছুটা কম। এটি প্লীহা আর পাকস্থলীর দুর্বলতা দূর করার পাশাপাশি দেহের সাধারণ দুর্বলতা দূর করতে সহায়ক।অনেকেই ফ্রেঞ্চ ফ্রাই এবং আলুর চিপস খেতে পছন্দ করেন। কিন্তু ফ্যাট থাকার কারণে এসব খাবারে যে শরীরের ক্ষতি হয় সেদিকে আমরা খেয়াল রাখি না। আলু সেদ্ধ করে, তরকারিতে রান্না করে কিংবা ভর্তা করে খাওয়া যায়। আলুতে ভিটামিন সি রয়েছে, যা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে শরীরের কোষের ক্ষতি পুষিয়ে দেয়। আলু পেটের সমস্যাও দূর করে। ত্বকের কোথাও পুড়ে গেলে কাঁচা আলু থেঁতলে পুড়ে যাওয়া জায়গায় লাগালে আরাম পাওয়া যায়। আলুতে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, আমাইনো এসিড, ওমেগা-থ্রিসহ নানা ধরনের ফ্যাটি এসিড রয়েছে, যা মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়াতে সহায়তা করে। কার্বোহাইড্রেড, প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, নিয়াসিন এবং ভিটামন সি ও ভিটামিন বি কমপ্লেক্সের ভালো উৎস এই আলু, এসব উপাদান হৃদরোগ মোকাবিলায় সহায়তা করে ও রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখে। আলু কিডনিতে পাথর জমতে দেয় না। আলুতে ভিটামিন সি ও বি কমপ্লেক্স ছাড়াও পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, জিঙ্ক ও ফসফরাস রয়েছে, এসব উপাদান আপনার ত্বকের জন্য উপকারি। ক্ষতিকারক দিক আলুর ক্ষতিকারক দিক হচ্ছে - গ্যাস্ট্রিক তাই যাদের গ্যাস্ট্রিক সমস্যা আছে তাদের আলু পরিহার করে চলাই ভাল। সারা বিশ্বে খাদ্য হিসাবে ভূমিকা thumb|250px|left|সারা বিশ্বে আলু উৎপাদন জাতিসংঘ এফএও-এর রিপোর্ট মতে সারা পৃথিবীতে আলু উৎপাদন ২০১৩ সালে ছিল ৩৬৮ মিলিয়ন টন। একজন ব্যক্তি প্রতিবছর প্রায় ৩৩ কেজি আলু খায়। thumb|আলু গাছে আলু ফুল thumb|রাসেট আলু thumb|right|আলু চাষ হচ্ছে ওয়াশিংটনে right|thumb|আলুর ক্ষেত মেইন আলু একটি বহুবর্ষজীবী টিউবেরাস ফসল যা সোলানেসিয়া গোত্রের অন্তর্গত। আসলে এর খাওয়ার উপযোগী টিউবারের কারণেই এটির আলু নামকরণ। আলুর ইংরেজি শব্দ পটেটো এসেছে স্প্যানিশ পাতাতা থেকে। রেয়াল আকাদেমিয়া এস্পানিওলা'''র (স্প্যানিশ রয়েল একাডেমি) তথ্য অনুযায়ী এই স্পেনীয় শব্দটি তাইনো শব্দ বাতাতা (মিষ্টি আলু) এবং কেচুয়া শব্দ পাপা (আলু) থেকে উদ্ভূত। পাতাতা বলতে প্রথমদিকে মুলত সাধারণ আলু অপেক্ষা মিষ্টি আলুকেই বেশি বোঝানো হত, যদিও এই দুই ধরনের আলুর মধ্যে বাস্তবে কোনও মিল নেই। দুই ধরনের আলুর এই নামসংকট অনেকদিন চলেছে। ষোড়শ শতাব্দীতেও ইংরেজ উদ্ভিদবিদ জন জেরার্ড যে আলুকে বোঝাতে “বাস্টার্ড পটেটো” এবং “ভার্জিনিয়া পটেটো” নামক দুইটি শব্দ ব্যবহার করেন তা এই নামবিভ্রাট থেকে মুক্তির লক্ষ্যেই। কিন্তু তিনিও মিষ্টি আলুকে সাধারণ আলু'' বলেই অভিহিত করেন। যাইহোক, বর্তমানে আলু ও মিষ্টি আলু নিয়ে এই নামবিভ্রাট সম্পূর্ণ অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়েছে। আলুর উৎপত্তি ইতিহাস আন্দেস পার্বত্যাঞ্চলের আশেপাশের এলাকা আলুর বেশ কিছু সংখ্যক প্রজাতির স্বাভাবিক উৎসস্থল। ৪০০ বছরেরও কিছু বেশি পূর্বে ষোড়শ শতাব্দীর প্রথমদিকে স্পেনীয়রা যখন আন্দেস পর্বত এলাকায় পৌঁছয়, তখনই তা প্রথম ইউরোপীয়দের গোচরে আসে; তাদের হাত ধরেই পরবর্তীকালে তা সমগ্র বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। ধান, গম এবং ভুট্টার পর আজ এটি পৃথিবীর চতুর্থ বৃহত্তম ফসল। এর নির্দিষ্ট উৎপত্তিস্থল হিসেবে বিভিন্ন অঞ্চলের নাম উল্লেখ করা হলেও সম্প্রতি একটি গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে আলুর উৎপত্তিস্থল দক্ষিণ পেরু। পেরুর ইনকা সভ্যতায় চাষের জমিকে আলু বলা হতো ।সেখান থেকেই বাংলা আলু কথাটা এসেছে । যাইহোক, পেরুতে ৭০০০-১০০০০ বছরের পুরনো Solanum brevicaule complex প্রজাতির আলুর অস্তিত্ব প্রমাণিত হয়েছে। ১৮৪৫ সালে যদিও oomycete Phytophthora infestans, ছত্রাক দ্বারা আলুর লেট ব্লাইট রোগ দেখা যায় যা পশ্চিম আয়ারল্যান্ডে ছড়িয়ে পড়ে, তারপরও আলুর উৎপাদন থেমে থাকে নি । বর্তমানে সমগ্র বিশ্বে প্রতিটি মানুষ বছরে গড়ে ৩৩ কে.জি আলু ভক্ষণ করে থাকে এবং এককভাবে চীন এবং ভারত সর্বাধিক আলু উৎপাদন করে থাকে। তবে বিশ্বের সমস্ত অঞ্চলেই বর্তমানে কমবেশি আলু জন্মে। তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:সবজি বিষয়শ্রেণী:বীরুৎ বিষয়শ্রেণী:ঔষধি উদ্ভিদ বিষয়শ্রেণী:মূল সবজি বিষয়শ্রেণী:প্রধান খাদ্য
আলু
সমর দাস (১০ ডিসেম্বর ১৯২৯ - ২৫ সেপ্টেম্বর ২০০১) একজন বিখ্যাত বাংলাদেশী সুরকার ও সঙ্গীত পরিচালক। জীবন ১৯২৯ সালের ১০ ডিসেম্বর পুরান ঢাকার লক্ষ্মীবাজারে নবদ্বীপ বসাক লেনে এক সঙ্গীতশিল্পী পরিবারে সমর দাসের জন্ম। পরিবারের গণ্ডিতেই তার সঙ্গীত শিক্ষা শুরু হয়েছিল। ১৯৪৫ সালে মাত্র ১৬ বছর বয়সে তদানীন্তন অল ইন্ডিয়া রেডিও’র ঢাকা কেন্দ্রে বাঁশি বাজানোর মধ্য দিয়ে সমর দাসের সঙ্গীত জীবনের সূচনা।। তরুণ বয়সেই গিটার ও পিয়ানো বাজানোর জন্য তার খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে। পরে তিনি একজন খ্যাতিমান গিটারবাদক হিসেবে পরিচিতি পান। এরপর ১৯৫০-এর দশকে কলকাতায় হিজ মাস্টার্স ভয়েস কোম্পানিতে কাজ করেন এবং সুখ্যাতি অর্জ্জন করেন। ১৯৬১ সালে ঢাকা বেতার কেন্দ্রে সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে যোগ দেন। এখানে তিনি স্বাধীনতার পূর্ব পর্যন্ত কর্মরত ছিলেন। তিনি বহু বাঙলা গানের সুরকার। রেডিও-টেলিভিশন এবং চলচ্চিত্রের জন্য অসংখ্য গানের তিনি সঙ্গীত পরিচালক। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি মুজিবনগর খেকে পরিচালিত স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের অন্যতম সংগঠক ও প্রধান পরিচালক ছিলেন। এ সময় বহু গানে তিনি সুর দেন। তার সুর করা গান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় মুক্তিবাহিনী ও দেশবাসীকে দারুণভাবে অনুপ্রাণিত করে। মুক্তিযুদ্ধে তার সুর করা ‘পূর্ব দিগন্তে সূর্য উঠেছে’, ‘নোঙ্গর তোলো তোলো’ প্রভৃতি গান মুক্তিযোদ্ধাদের প্রেরণা জুগিয়েছে। ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দে সুরবিন্যাস করে বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত আমার সোনার বাংলা মূল গানটি বিবিসি লন্ডন থেকে সামরিক ব্রাশব্রান্ডে রেকর্ড করার দায়িত্ব পালন করেন তিনি। সঙ্গীত পরিচালনা বাংলা ছায়াছবির সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে সমর দাস খ্যাতি লাভ করেছেন। ১৯৫০ সালে কলকাতার বাংলা ছবি লটারি’র অন্যতম সঙ্গীত পরিচালক ছিলেন তিনি। এ ছাড়া মুখ ও মুখোশ, জিঘাংসা প্রভৃতি ছায়াছবির সঙ্গীত পরিচালনা করেন। তিনি বাংলাদেশ বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশনের দুই হাজারেরও বেশি গানের সুরকার। ১৯৮৫ ও ১৯৯৫ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত সাফ গেমস সূচনা সঙ্গীতের তিনিই সুরারোপ করেছিলেন। মৃত্যু ২০০১ খ্রিস্টাব্দের ২৫শে সেপ্টেম্বর তিনি পরলোক গমন করেন। ঢাকার ওয়ারীস্থ খ্রিষ্টান গোরস্থানে তার সমাধি রয়েছে। পুরস্কার ও সম্মননা শিল্পচর্চায় অসাধারণ অবদানের জন্য ১৯৭৯ সালে দেশের “সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার” হিসাবে পরিচিত “স্বাধীনতা পুরস্কার” প্রদান করা হয় তাকে। বাংলাদেশে 'সঙ্গীত পরিষদ’-এর প্রতিষ্ঠার সময় থেকেই সমর দাস এর সদস্য ছিলেন। জাতীয় প্রেসক্লাবেরও তিনি সদস্য ছিলেন। তিনি একুশে পদক সহ আরও অসংখ্য পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। আরও দেখুন সংস্কৃতিতে স্বাধীনতা পুরস্কার বিজয়ীদের তালিকা। তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ বিষয়শ্রেণী:বাঙালি খ্রিস্টান বিষয়শ্রেণী:১৯২৯-এ জন্ম বিষয়শ্রেণী:২০০১-এ মৃত্যু বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশী সঙ্গীত পরিচালক বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশী সুরকার বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশী গায়ক বিষয়শ্রেণী:সংস্কৃতিতে স্বাধীনতা পুরস্কার বিজয়ী
সমর দাস
মাদ্রী মহাভারত মহাকাব্যের একটি নারীচরিত্র। মহাভারতের হস্তিনাপুরের চন্দ্রবংশীয় রাজা পাণ্ডুর দ্বিতীয়া স্ত্রী মাদ্রী ছিলেন মদ্র দেশের রাজকন্যা। তার পিতার উত্তরাধিকারী হিসাবে ভ্রাতা শল্য (মহাভারত) মদ্ররাজ হয়েছিলেন। পান্ডুর সাথে বিয়ে কুন্তির সাথে তার বিয়ের পরে পাণ্ডু মদ্ররাজের কনিষ্ঠ কন্যা মাদ্রীকে বিয়ে করেছিলেন। পান্ডু ও মাদ্রীর কোন সন্তান ছিল না। ফলস্বরূপ সপত্নী কুন্তীর কাছ থেকে দুর্বাসাপ্রদত্ত পুত্রেষ্টিমন্ত্র অল্পসময়ের জন্য চেয়ে নিয়ে তিনি অশ্বিনীকুমারদ্বয়কে পুত্রদান নিমিত্ত আবাহন করেন। তাদের ঔরসে মাদ্রীর গর্ভে দুই পুত্র (কনিষ্ঠ পাণ্ডব) নকুল ও সহদেবের জন্ম হয়। নকুল ও সহদেবের জন্মের পর পাণ্ডু একদা বনে মাদ্রীকে দেখে কামার্ত হন ও তার গর্ভে নিজ পুত্র উৎপন্ন করতে তার সাথে যৌনসঙ্গম করেন। এই সঙ্গমের ফলে পান্ডুর মৃত্যু হয়। এই দুঃখে মাদ্রী নকুল ও সহদেবকে কুন্তীর কাছে রেখে সগর্ভ পাণ্ডুর চিতায় আরোহণ করে মৃত্যুবরণ করেন। তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ KMG Mahabharata বিষয়শ্রেণী:মহাভারতের চরিত্র
মাদ্রী
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কম্পিউটার বিজ্ঞানের একটি শাখা, যেখানে মানুষের বুদ্ধিমত্তা ও চিন্তা শক্তিকে কম্পিউটার দ্বারা অনুকৃত করার চেষ্টা করা হয়ে থাকে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এখন হয়ে উঠেছে একটি একাডেমিক শিক্ষার ক্ষেত্র যেখানে পড়ানো হয় কিভাবে কম্পিউটার এবং সফটওয়্যার তৈরি করতে হয় যা বুদ্ধিমত্তা প্রদর্শন করবে। thumb|250px|জাপানি রোবট অ্যাসিমো মানুষের বুদ্ধিমত্তা ও চিন্তা শক্তিকে কৃত্রিম উপায়ে প্রযুক্তি নির্ভর করে যন্ত্রের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করাকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বলে। কম্পিউটারকে মিমিকস কগনেটিক এককে আনা হয় যাতে করে কম্পিউটার মানুষের মত ভাবতে পারে । যেমন শিক্ষা গ্রহণ এবং সমস্যার সমাধান । কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) হল মেশিন দ্বারা প্রদর্শিত বুদ্ধি। কম্পিউটার বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে, এআই গবেষণার ক্ষেত্রটি "বুদ্ধিমান এজেন্ট" -এর অধ্যয়ন হিসাবে নিজেকে সংজ্ঞায়িত করে: যে কোনও যন্ত্র যা তার পরিবেশকে অনুধাবন করতে পারে এবং এমন কিছু পদক্ষেপ নেয় যা কিছু লক্ষ্য অর্জনে তার সাফল্যকে অনেক দূর পর্যন্ত এগিয়ে নেয়। "কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা" শব্দটি প্রয়োগ করা হয় তখন যখন একটি মেশিন "জ্ঞানীয়" ফাংশনগুলিকে কার্যকর করে যা অন্যান্য মানুষের মনের সাথে মিল থাকে, যেমন "শিক্ষা গ্রহণ" এবং "সমস্যা সমাধানের" সাথে সংযুক্ত। আন্দ্রেয়ার কাপলান এবং মাইকেল হেনলিন আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সংজ্ঞায় বলেন "এটি একটি সিস্টেমের বহির্ভূত তথ্য সঠিকভাবে ব্যাখ্যা করতে পারার ক্ষমতা, এমন তথ্য থেকে শিক্ষা গ্রহণ এবং ঐ শিক্ষা ব্যবহার করে নমনীয় অভিযোজনের মাধ্যমে বিশেষ লক্ষ্য করা।" মেশিনগুলি ক্রমবর্ধমানভাবে সক্ষম হয়ে উঠে তখন মানসিক সুবিধার জন্য বুদ্ধিমত্তাকে সংজ্ঞা থেকে সরিয়ে ফেলার প্রয়োজন হয়। উদাহরণস্বরূপ, অপটিক্যাল অক্ষর স্বীকৃতিটি "কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার" উদাহরণ হিসাবে আর অনুভূত হয় না, তখন এটি একটি রুটিন প্রযুক্তি হয়ে ওঠে। বর্তমানে যে সক্ষমতাগুলোকে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়েছে সেগুলি মানুষের বক্তব্যকে সফলভাবে বুঝতে পারে, কৌশলগত গেম সিস্টেম (যেমন দাবা এবং যাওয়া) উচ্চতর স্তরের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারে, স্বয়ংক্রিয়ভাবে গাড়ি চালাতে পারে, সামরিক সিমুলেশন এবং জটিল উপাত্ত ব্যাখ্যা করতে পারে। এআই গবেষণাকে কতগুলো উপ শাখায় বিভক্ত করা যেতে পারে যা নির্দিষ্ট সমস্যা, দৃষ্টিভঙ্গি, বিশেষ সরঞ্জামের ব্যবহার বা নির্দিষ্ট অ্যাপ্লিকেশনগুলির সন্তুষ্টির দিকে ফোকাস করে। ইতিহাস চিন্তা করতে সক্ষম কৃত্রিম মানুষ মূলত গল্প বলার যন্ত্র হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিল, প্রকৃতপক্ষে কার্যকর যুক্তি প্রদর্শনের জন্য একটি যন্ত্র তৈরির চেষ্টা করার ধারণাটি সম্ভবত রামন লোল (১৩০০ খ্রিস্টাব্দে) এর সাথে শুরু হয়। তার ক্যালকুলাস রেটিওসিনেটরের সাথে, গটফ্রিড লিবিনিজ গণিত মেশিনের ধারণাকে সম্প্রসারিত করেছিলেন (উইলহেলম স্কিকার্ড ১৬২৩ এর কাছাকাছি সময় প্রথম একটি প্রকৌশলগত কাজ করেছিলেন), সংখ্যার পরিবর্তে ধারণার উপর অপারেশন পরিচালনার উদ্দেশ্যে। উনিশ শতক থেকে কৃত্রিম মানুষ বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনিতে সাধারণ বিষয় হয়ে গিয়েছিল, যেমন মেরি শ্যালীর ফ্রাঙ্কেনস্টাইন বা কারেল কেপেক এর আর.ইউ.আর. (রাসোসের ইউনিভার্সাল রোবটস) এর কথা উল্লেখ করা যেতে পারে। যান্ত্রিক বা "আনুষ্ঠানিক" যুক্তি অধ্যয়ন প্রাচীনকালে দার্শনিক ও গণিতবিদদের সাথে শুরু হয়েছিল। গাণিতিক যুক্তিবিজ্ঞান অধ্যয়ন অ্যালান টুরিং এর গণিতের তত্ত্বের সূত্রপাত করেছিল, যা একটি মেশিন, "0" এবং "১" প্রতীক চিহ্ন দ্বারা গাণিতিক সিদ্ধান্তগ্রহণ করতে পারে। এই অন্তর্দৃষ্টির মাধ্যমে যে ডিজিটাল কম্পিউটার আনুষ্ঠানিক যুক্তির কোন প্রক্রিয়া অনুকরণ করতে পারে তা চার্চ-টুরিং থিসিস হিসাবে পরিচিতি লাভ করেছিল। স্নায়ুবিদ্যা, তথ্য তত্ত্ব এবং সাইবারনেটিক্সের আবিষ্কার গবেষকদের মধ্যে বৈদ্যুতিক মস্তিষ্ক নির্মাণের সম্ভাবনাকে বাড়িয়ে দিয়েছিল । প্রথম কাজ যা বর্তমানে এআই হিসাবে স্বীকৃত হয় যা ম্যাককুল্লাচ এবং পিটসের ১৯৪৩ টুরিংয়ের জন্য সম্পূর্ণ "কৃত্রিম নিউরন" ছিল প্রথাগত নকশা। এআই গবেষণা ক্ষেত্র ১৯৫৬ সালে ডার্টমাউথ কলেজের একটি কর্মশালায় প্রথম প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। অ্যালেন নিউয়েল (সিএমইউ), হারবার্ট সিমন (সিএমইউ), জন ম্যাকার্থি (এমআইটি), মার্ভিন মিনস্কি (এমআইটি) এবং আর্থার স্যামুয়েল (আইবিএম) এআই গবেষণার প্রতিষ্ঠাতা এবং নেতা হয়ে উঠেছিলেন। তারা এবং তাদের ছাত্ররা যে প্রোগ্রাম তৈরি করেছিল সংবাদপত্র তাকে "বিস্ময়কর" হিসাবে বর্ণনা করেছিল: কম্পিউটার চেকারদের মধ্যে বিজয়ী হয়, বীজগণিতের মধ্যে শব্দের সমস্যার সমাধান করে, যুক্তিগত তত্ত্বগুলি প্রমাণ করে এবং ইংরেজি কথা বলতে সক্ষম হয়। ১৯৬০-এর দশকের মাঝামাঝি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিরক্ষা বিভাগ দ্বারা গবেষণার জন্য ব্যাপকভাবে তহবিল প্রদান এবং বিশ্বব্যাপী ল্যাবরেটরিস প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এআই এর প্রতিষ্ঠাতারা ভবিষ্যৎ সম্পর্কে আশাবাদী: হারবার্ট সাইমন ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন, "মেশিন বিশ বছরের মধ্যে একজন মানুষ যা করতে পারে তা করতে সক্ষম হবে ।" মার্ভিন মিন্স্কি একমত হয়েছিলেন, "একটি প্রজন্মের মধ্যে ... কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা তৈরির সমস্যাটি সমাধান হয়ে যাবে" তারা অবশিষ্ট কিছু কাজের অসুবিধা বোঝতে ব্যর্থ হয়েছিল। অগ্রগতি ধীরগতি সম্পন্ন হয়ে পড়েছিল এবং ১৯৭৪ সালে স্যার জেমস লাইটহিল এর সমালোচনার জবাবে ব্রিটিশ সরকার এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের কাছ থেকে চলমান চাপের কারণে এআইএর গবেষণামূলক গবেষণা বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। পরবর্তী কয়েক বছর পরে একে "এআই শীতকালীন" বলা হবে যখন এআই প্রকল্পের অর্থায়ন কঠিন ছিল। ১৯৮০ এর দশকের শুরুতে এআই গবেষণা বিশেষজ্ঞ সিস্টেমের বাণিজ্যিক সাফল্য দ্বারা পুনরুজ্জীবিত হয়েছিল, এআই প্রোগ্রামের একটি ফর্ম যা মানব বিশেষজ্ঞের জ্ঞান এবং বিশ্লেষণাত্মক দক্ষতাগুলিকে অনুকরণ করে। ১৯৮৫ সাল নাগাদ এআইয়ের বাজার এক বিলিয়ন ডলারের বেশি পৌঁছেছিল। একই সময়ে, জাপানের পঞ্চম প্রজন্মের কম্পিউটার প্রকল্প ইউএস এবং ব্রিটিশ সরকারকে একাডেমিক গবেষণার জন্য অর্থায়নে ফিরিয়ে আনার জন্য অনুপ্রাণিত করেছিল। যাইহোক, ১৯৮৭ সালে লিস্প মেশিন বাজারের পতনের শুরুতে, এআই আবারও দুর্নীতিতে পড়ে এবং দ্বিতীয় দীর্ঘস্থায়ী মন্দা অবস্থায় পতিত হয়। ১৯৯০ এবং একবিংশ শতকের প্রথম দিকে সরবরাহ, ডেটা মাইনিং, চিকিৎসা নির্ণয়ের এবং অন্যান্য এলাকার জন্য এআই ব্যবহার করা শুরু করেছিল। সাফল্য ছিল গণনীয় ক্ষমতা বৃদ্ধি(মুরের আইন দেখুন), নির্দিষ্ট সমস্যার সমাধান, এআই এবং অন্যান্য ক্ষেত্রগুলির মধ্যে নতুন সম্পর্ক এবং গবেষকগণের গাণিতিক পদ্ধতি এবং বৈজ্ঞানিক মানকে একটি প্রতিশ্রুতির উপর অধিকতর গুরুত্বের কারণে। ডিপ ব্লু ১১ই জুন, ১৯৯৭ তারিখে একজন দাবা চ্যাম্পিয়ন গ্যারি কাসপারভকে পরাজিত করার জন্য প্রথম কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত দাবা খেলোয়াড় হয়ে ওঠে। উন্নত পরিসংখ্যান কৌশল (শিথিলভাবে গভীর শিক্ষার নামে পরিচিত), বড় পরিমাণে তথ্যের মধ্যে প্রবেশ এবং দ্রুত কম্পিউটারে মেশিন শিক্ষার এবং উপলব্ধির ক্ষেত্রে অগ্রগতি লাভ করে। ২০১০ এর মাঝামাঝি পর্যন্ত, সারা পৃথিবীতে মেশিন লার্নিং অ্যাপ্লিকেশনগুলি ব্যবহার করা হতো। একটি বিপদ! আইবিএম এর প্রশ্নের উত্তর সিস্টেমের কুইজ শো প্রদর্শনী ম্যাচে ওয়াটসন একটি উল্লেখযোগ্য মার্জিন দ্বারা দুজন সর্বশ্রেষ্ঠ চ্যাম্পিয়ন ব্র্যাড রাদার এবং কে জেনিংসকে পরাজিত করেছিল। কিনিট, যা Xbox 360 এবং Xbox One এর জন্য 3D শরীর-গতি ইন্টারফেস প্রদান করে যা অ্যালগরিদম ব্যবহার করে যা দীর্ঘ এআই গবেষণা থেকে উদ্ভূত হয় যেমন স্মার্টফোনে বুদ্ধিমান ব্যক্তিগত সহায়ক হিসাবে কাজ করে। মার্চ ২০১৬ এ, আলফাগো গো চ্যাম্পিয়ন লি সেডোলের সাথে একটি ম্যাচে ৫টি গেমের মধ্যে ৪টিতেই জিতে নেয়, হ্যান্ডিক্যাপস ছাড়াই একজন পেশাদার গো খেলোয়াড়কে পরাজিত করার জন্য প্রথম কম্পিউটার গো-সিস্টেমিং পদ্ধতিতে পরিণত হয়। ভবিষ্যতের গো সম্মেলনের ২০১৭ আলফাগো কে জেইয়ের সাথে তিনটি খেলায় জিতেছে যিনি ক্রমাগতভাবে দুবছর ধরে বিশ্বের এক নম্বর রেঙ্কিং অর্জন করেছিল। ব্লুমবার্গের জ্যাক ক্লার্কের মতে ২০১৫ সালে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার জন্য একটি মাইলফলক বছর ছিল, গুগলের মধ্যে এআই ব্যবহার করার জন্য সফটওয়্যার প্রকল্পগুলোর সংখ্যা ২০১২ সালে ২৭০০ এরও বেশি প্রকল্পে "স্পোরাইডিক ব্যবহার" বৃদ্ধি পেয়েছে। ক্লার্ক তথ্যপ্রযুক্তি তথ্যও তুলে ধরেছেন যে চিত্র প্রক্রিয়াকরণ কর্মের ত্রুটির হার ২০১১ সাল থেকে উল্লেখযোগ্যভাবে কমে এসেছে। তিনি ক্লাউড কম্পিউটিং অবকাঠামোর উত্থানের ফলে এবং গবেষণা সরঞ্জাম ও ডাটাসেটগুলির বৃদ্ধির কারণে সাশ্রয়ী মূল্যের স্নায়ুবিক নেটওয়ার্কগুলির বৃদ্ধি নিয়ে এটিকে গুরুত্ব দেন। অন্যান্য উল্লিখিত উদাহরণের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে মাইক্রোসফটের স্কাইপ সিস্টেমের ডেভেলপমেন্ট যা স্বয়ংক্রিয়ভাবে একটি ভাষা থেকে অন্য ভাষায় অনুবাদ করতে পারে এবং ফেইসবুক সিস্টেম অন্ধ মানুষদের কাছে চিত্রের বর্ণনা করতে পারে। লক্ষ্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সামগ্রিক গবেষণার লক্ষ্য হচ্ছে প্রযুক্তি তৈরি করা যার মাধ্যমে কম্পিউটার এবং মেশিনগুলি বুদ্ধিমান পদ্ধতিতে কাজ করতে সক্ষম হবে। বুদ্ধিমত্তার উৎপাদন (বা তৈরি) সাধারণ সমস্যাগুলোকে কয়েকটি উপ সমস্যায় বিভক্ত করা হয়েছে। যে বিশেষ বৈশিষ্ট্যগুলি বা ক্ষমতাগুলি রয়েছে তা গবেষকরা একটি বুদ্ধিমান সিস্টেম প্রদর্শন করবে বলে আশা করেন। নিচের বর্ণনাগুলি সর্বাধিক মনোযোগ পেয়েছে। এরিখ স্যাণ্ডওয়েল পরিকল্পনা ও শেখার উপর জোর দেন যেটি প্রদত্ত পরিস্থিতির ক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিক এবং প্রযোজ্য। যুক্তি ও সমস্যা সমাধান প্রাথমিক গবেষকরা অ্যালগরিদমগুলি বিকশিত করেছেন যা ধাপে ধাপে যুক্তিযুক্ত করে যেমন করে মানুষ সমস্যা সমাধান বা লজিক্যাল কর্তনের জন্য সেগুলি ব্যবহার করে। ১৯৮০ ও ১৯৯০ এর দশকের শেষের দিকে এআই গবেষণাকে উন্নত করা হয়েছিল অনিশ্চিত বা অসম্পূর্ণ তথ্য, সম্ভাবনা এবং অর্থনীতি থেকে ধারণা নিযুক্ত করার জন্য। কঠিন সমস্যাগুলির জন্য অ্যালগরিদমগুলির জন্য প্রচুর গণনীয় সম্পদ প্রয়োজন হতে পারে-সবচেয়ে বেশি অভিজ্ঞতা "সংযুক্ত করিতে সক্ষম বিস্ফোরণ" : মেমরির পরিমাণ বা কম্পিউটারের নির্দিষ্ট সময় প্রয়োজন একটি নির্দিষ্ট আকারের সমস্যা সমাধানের জন্য । আরও দক্ষ সমস্যা-সমাধানের অ্যালগরিদমগুলির অনুসন্ধান অনেক বেশি অগ্রাধিকার পাচ্ছে। মানুষ প্রাথমিকভাবে দ্রুত, স্বনির্ধারণী সিদ্ধান্তগুলি ব্যবহার করে ধাপে ধাপে ছাড়ের পরিবর্তে, প্রাথমিক এআই গবেষণা সেই মডেলটিকে একটি রূপ দিতে পেরেছে । এআই "সাব-সিম্বোলিক" সমস্যা সমাধান ব্যবহার করে অগ্রগতি অর্জন করেছে: অঙ্গবিন্যাসকারী এজেন্ট উচ্চতর যুক্তি থেকে সেন্সরাইমোটার দক্ষতার উপর জোর দেয়; মস্তিষ্কের ভিতরকার কাঠামোর অনুকরণে স্নাতকোত্তর গবেষণার প্রচেষ্টা এই দক্ষতা বৃদ্ধি করে; এআই এর প্রধান গোল হল মানুষের ক্ষমতা অনুকরণ করা। জ্ঞানের প্রতিনিধিত্ব জ্ঞানের প্রতিনিধিত্ব এবং জ্ঞানের প্রকৌশল এআই গবেষণার কেন্দ্রীয় বিষয়। অনেক সমস্যার সমাধান যা মেশিন দ্বারা হবে বলে প্রত্যাশা করা হয় তার বিশ্ব সম্পর্কে ব্যাপক জ্ঞান প্রয়োজন হবে। যে ধরনের বিষয় এআই প্রতিনিধিত্ব করবে তা হল বস্তু, বৈশিষ্ট্য, বিভাগ এবং বস্তুর মধ্যে সম্পর্ক; পরিস্থিতি, ঘটনা, অবস্থা এবং সময়; কারণ এবং প্রভাব; জ্ঞান সম্পর্কে জ্ঞান (আমরা যা জানি অন্যান্য মানুষ যা জানেন); এবং অন্যান্য অনেক, কম ভাল গবেষণামূলক ডোমেইন। প্রতিনিধিত্ব হল "যার অস্তিত্ব বিদ্যমান": বস্তুর সেট, সম্পর্ক, ধারণা এবং তাই যে সম্পর্কে মেশিন জানে। সর্বাধিক উচ্চতর তত্ত্ববিদ্যা তাকেই বলা হয় যা অন্য সকল জ্ঞানের ভিত্তি প্রদানের প্রচেষ্টা করে। জ্ঞানের প্রতিনিধিত্বের মধ্যে সবচেয়ে কঠিন সমস্যাগুলো হল: ডিফল্ট যুক্তি এবং যোগ্যতার সমস্যা মানুষ অনেক কিছু জানে তা মূলত "কাজের অনুমান" রূপে মূল্যায়ন করা হয়। উদাহরণস্বরূপ, যদি একটি পাখির কথা আলোচনায় আসে তবে মানুষ সাধারণত একটি প্রাণীকে চিত্রিত করে যার কোন বিশেষ আকার, চিহ্ন আছে এবং যারা উড়তে পারে । এই সমস্ত জিনিসগুলির মধ্যে কোনটিই সব পাখিগুলি সম্পর্কে সত্য নয়। জন ম্যাকার্থি ১৯৬৯ সালে এই সমস্যাটি চিহ্নিত করেছিলেন যোগ্যতার সমস্যা হিসাবে: কোনও কমনসেন্স রুলের জন্য যে এআই গবেষকেরা প্রতিনিধিত্ব করে, সেখানে বেশ কিছু ব্যতিক্রম রয়েছে। বিমূর্ত লজিকের জন্য যা প্রয়োজনের তার প্রায় কোন কিছুই সত্য বা মিথ্যা নয়। এআই গবেষণা এই সমস্যার সমাধানের জন্য অনেক পথ পর্যটন করেছে। কমনসেন্স জ্ঞানের বিস্তৃতি পারমাণবিক বিষয় যে খুব বড় সে বিষয় সবাই জানেন । গবেষণা প্রকল্পগুলি সাধারণ জ্ঞানের (যেমন, সাইক) উপর ভিত্তি করে সম্পূর্ণ জ্ঞান বিকাশের জন্য প্রচলিত পরিমাণে কঠোর পরিশ্রমী প্রকৌশলবিদ্যা-এর প্রয়োজন হয় - তারা অবশ্যই জটিল ধারণা হাতের সাহায্যে সমাধান করবে। প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে কম্পিউটারের মত উৎসগুলি থেকে পড়ার মাধ্যমে কম্পিউটারকে প্রয়োজনীয় ধারণাগুলি বোঝার জন্য যথেষ্ট ধারণা থাকতে হবে, এবং এভাবে তার নিজের অ্যান্টোলোজিতে যোগ করতে সক্ষম হবে। কিছু সাধারণ জ্ঞানের প্রতীকী ফর্ম মানুষ যা জানে তার বেশিরভাগই "ঘটনা" বা "বিবৃতি" হিসাবে উপস্থাপিত হয় না যা তারা মৌখিকভাবে প্রকাশ করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, একটি দাবা মাস্টার একটি নির্দিষ্ট দাবা পরিসীমা এড়িয়ে চলবে কারণ এটি "খুব প্রকাশ বোধ করে" বা একজন শিল্প সমালোচক একটি মূর্তির চেহারা দেখেই এটি জাল মনে করতে পারেন। এগুলো মানব মস্তিষ্কের অসচেতন এবং উপ-প্রতীকী স্বরূপ বা প্রবণতা। এই ধরনের জ্ঞান প্রদান, সমর্থন মূলত প্রতীকী এবং সচেতন জ্ঞানের জন্য একটি প্রসঙ্গ দেয়া হয় । সাব-প্রতীকী যুক্তিযুক্ত সমস্যার সাথে সাথে আশা করা হয় যে অবস্থিত এআই, কম্পিউটেশনাল বুদ্ধি বা পরিসংখ্যানগত এআই এই ধরনের জ্ঞান প্রতিনিধিত্ব করার উপায়গুলি প্রদান করবে। পরিকল্পনা বুদ্ধিমান প্রতিনিধিকে লক্ষ্য সেট করতে এবং তাদের অর্জন করতে সক্ষম হতে হবে। ভবিষ্যতের দৃশ্যমানতা - বিশ্বের অবস্থার প্রতিনিধিত্ব এবং তাদের কর্মগুলি কীভাবে পরিবর্তন করবে সে বিষয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করতে সক্ষম করার জন্য তাদের কিছু পথ থাকা প্রয়োজন - এবং উপলব্ধ পছন্দগুলির (বা "মান") সর্বাধিক পছন্দগুলি চয়ন করতে সক্ষম হতে হবে । ক্লাসিক্যাল পরিকল্পনা সমস্যাগুলির মধ্যে এজেন্ট অনুমান করতে পারেন যে এটি এজন্যই একমাত্র সিস্টেম যা বিশ্বজুড়ে কাজ করে যা এজেন্টকে তার কর্মের ফলাফল সম্পর্কে নির্দিষ্ট করে দেয়। যাইহোক, যদি এজেন্ট একমাত্র অভিনেতা না হন তাহলে এটি এজেন্টের অনিশ্চয়তার কারণ হতে পারে। এটি একটি এজেন্টের জন্য আহ্বান করে যে শুধুমাত্র তার পরিবেশের মূল্যায়ন এবং পূর্বাভাস তৈরি করতে পারে তা নয়, সাথে সাথে তার পূর্বাভাস মূল্যায়ন করে এবং তার মূল্যায়নের উপর নির্ভর করে তা মেনে চলে। বহু এজেন্টের পরিকল্পনায় একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য অর্জনের জন্য অনেক এজেন্টের সহযোগিতা এবং প্রতিযোগিতা ব্যবহার করে। জরুরী আচরণ যেমন, বিবর্তনীয় অ্যালগরিদম এবং ঘনত্বের বুদ্ধিমত্তা দ্বারা ব্যবহৃত হয়। শিক্ষা মেশিনের শিক্ষণ হল এআই গবেষণার একটি মৌলিক ধারণা যা প্রতিষ্ঠার পর থেকে কম্পিউটার অ্যালগরিদম অধ্যয়ন যা অভিজ্ঞতার মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে উন্নতি করতে সক্ষম। অপর্যাপ্ত শিক্ষণ হচ্ছে ইনপুটের মধ্যে নিদর্শন খুঁজে বের করার ক্ষমতা। তত্ত্বাবধানে থাকা শিক্ষণে ক্লাসিফিকেশন এবং সংখ্যাসূচক রিগ্রেশন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত। শ্রেণিবিন্যাসের মাধ্যমে কোন বিভাগের মধ্যে কিছু অন্তর্গত তা নির্ধারণ করতে ব্যবহার করা হয়। রিগ্রেশন একটি ফাংশন তৈরি করার প্রচেষ্টা যা ইনপুট এবং আউটপুটের মধ্যে সম্পর্ক বর্ণনা করে এবং পূর্বাভাস দেয় কিভাবে ইনপুট পরিবর্তনের ফলে আউটপুটগুলি পরিবর্তন করা উচিত। রক্ষণাবেক্ষণ শেখার মধ্যে এজেন্ট ভাল প্রতিক্রিয়ার জন্য পুরস্কৃত করা হয় এবং খারাপ প্রতিক্রিয়ার জন্য শাস্তি দেয়া হয়। এজেন্ট তার পুরস্কার এবং শাস্তি এই অনুক্রম ব্যবহার করে একটি কৌশল গঠন করে তার সমস্যার স্থানে। ইউটিলিটির মত ধারণাগুলি ব্যবহার করে এই তিন ধরনের শেখার সিদ্ধান্ত তত্ত্বের ভিত্তিতে বিশ্লেষণ করা যায়। মেশিন লার্নিং অ্যালগরিদমগুলির গাণিতিক বিশ্লেষণ এবং তাদের পারফরম্যান্স কম্পিউটেশনাল লার্নিং থিওরি নামে পরিচিত যা তাত্ত্বিক কম্পিউটার বিজ্ঞানের একটি শাখা। আরও দেখুন সেরা-অনুকূলকরণ তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ বিষয়শ্রেণী:কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিষয়শ্রেণী:নিয়ন্ত্রণমূলক তন্ত্র বিজ্ঞান বিষয়শ্রেণী:বিধিবদ্ধ বিজ্ঞান বিষয়শ্রেণী:সমাজে প্রযুক্তি বিষয়শ্রেণী:গবেষণার পরিগণনামূলক ক্ষেত্র
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা
মানবাধিকারের সার্বজনীন ঘোষণাপত্র () একটি ঘোষণাপত্র। ১৯৪৮ সালের ১০ ডিসেম্বর প্যারিসে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে এই ঘোষণা প্রদান করা হয়। প্রত্যেক মানুষের মানবাধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্য নিয়ে এই সনদ ঘোষিত হয়। অনুমোদন জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ১০ ডিসেম্বর, ১৯৪৮ সালে মানবাধিকারের উপর সার্বজনীন ঘোষণার খসড়া সিদ্ধান্তটি অনুমোদিত হয়। প্রস্তাবের পক্ষে ৪৮ ভোট পড়ে এবং বিপক্ষে কোন ভোট পড়েনি। কিন্তু ৮টি দেশ ভোট প্রদানে বিরত থাকে। দেশগুলো হলো - সোভিয়েত ইউনিয়ন, ইউক্রেন, বেলারুশ, যুগোস্লাভিয়া, পোল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, চেকোস্লোভাকিয়া এবং সৌদী আরব। তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:জাতিসংঘ বিষয়শ্রেণী:আন্তর্জাতিক আইন
মানবাধিকারের সার্বজনীন ঘোষণাপত্র
বাংলায় সাম্যবাদী আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতার সম্পর্কে জানার জন্য এটি দেখুন - মুজফ্‌ফর আহ্‌মদ (কাকাবাবু) কাকাবাবু বিখ্যাত ভারতীয় বাঙালি সাহিত্যিক ও কবি সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের একটি কাল্পনিক চরিত্র। কাকাবাবুর আসল নাম ‘রাজা রায়চৌধুরী’। কাকাবাবু মধ্যবয়সী অবসরপ্রাপ্ত শারীরিক প্রতিবন্ধী এক মানুষ, যিনি অসম্ভব সাহসী ও পণ্ডিত ব্যক্তি। চরিত্র তিনি ভারত সরকারের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের একজন প্রাক্তন কর্মকর্তা যিনি একবার আফগানিস্তানে কামাল নামে এক বন্ধুকে দুর্ঘটনার কবল থেকে বাঁচানোর চেষ্টায় পঙ্গু হন। সব গল্পেই কাকাবাবুর সাথী ক্রাচ। এই ক্রাচকে অনেক সময় অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার কর‍তে দেখা গেছে। কাকাবাবু কিছুদিন সি.বি.আই বা সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনের উপদেষ্টা ছিলেন। সেখানকার কর্তা নরেন্দ্র ভার্মা তাঁর বিশেষ বন্ধু। তাঁর ভাইপো সন্তু ওরফে সুনন্দ রায়চৌধুরী আর সন্তুর বন্ধু জোজোকে নিয়ে অনেক অ্যাডভেঞ্চারে জড়িয়ে পড়তে দেখা যায়। বেশিরভাগ অ্যাডভেঞ্চারই ভারতের বিভিন্ন জায়গায় বা বিদেশে বেড়াতে গিয়ে হয়। তাই কাকাবাবুর প্রতিটি উপন্যাসেই নতুন নতুন জায়গার কথা থাকে। কাকাবাবু শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী হলেও তাঁর অদম্য সাহস, মনের জোর ও নানা বিষয়ে অভূতপূর্ব জ্ঞান থাকায় তিনি সব সমস্যার সমাধান করেন। কাকাবাবু অবিবাহিত। মানচিত্র দেখা তাঁর বিশেষ কয়েকটি শখের মধ্যে একটি। তিনি সময় পেলেই টেবিল ছড়িয়ে ম্যাপ দেখতে ভালোবাসেন। তাঁর একটি ম্যাপের বইও রয়েছে। কোনো জায়গায় যাওয়ার আগে তিনি প্রচুর পড়াশোনা করেন সেই জায়গা সম্পর্কে। বইসমূহ কাকাবাবুর প্রথম আত্মপ্রকাশ ঘটে ১৯৭১ সালের আনন্দমেলা পূজাবার্ষিকী সংখ্যায় বেরোনো ভয়ংকর সুন্দর উপন্যাসের মাধ্যমে। এরপর ১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারিতে সেটি আনন্দ পাবলিশার্স থেকে বই আকারে প্রকাশিত হয়। মূলত কাকাবাবুর বেশিরভাগ অভিযানই প্রথম প্রকাশিত হয়েছে আনন্দমেলা পত্রিকায়। এছাড়া সাধুবাবার হাত গল্পটি প্রথম প্রকাশিত হয় শারদীয়া কিশোর জ্ঞান-বিজ্ঞানে (১৯৮৬), মহাকালের লিখন শারদীয়া সন্দেশ (১৯৯০), পরী শারদীয়া শুকতারা (১৯৯৬) ও কাকাবাবু বনাম মূর্তিচোর প্রকাশিত হয় শারদীয়া কিশোর ভারতীতে (১৯৯৭)। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় কাকাবাবুকে নিয়ে মোট ৩৬টি উপন্যাস ও ৬টি গল্প লিখেছেন। কাকাবাবুর অ্যাডভেঞ্চার কাহিনীগুলো হলো : ভয়ংকর সুন্দর (ফেব্রুয়ারি, ১৯৭২) সবুজ দ্বীপের রাজা (মে, ১৯৭৮) পাহাড়চূড়ায় আতঙ্ক (মার্চ, ১৯৮১) ভূপাল রহস্য জঙ্গলের মধ্যে এক হোটেল জঙ্গলগড়ের চাবি খালি জাহাজের রহস্য (ফেব্রুয়ারি, ১৯৮৪) মিশর রহস্য (এপ্রিল, ১৯৮৫) কলকাতার জঙ্গলে (১৯৮৬) নীলমূর্তি রহস্য রাজবাড়ির রহস্য বিজয়নগরের হীরে কাকাবাবু ও বজ্রলামা উল্কা রহস্য মহাকালের লিখন (ছোটগল্প) একটি লাল লঙ্কা (ছোটগল্প) কাকাবাবু হেরে গেলেন? সাধুবাবার হাত (ছোটগল্প) সন্তু ও এক টুকরো চাঁদ আগুন পাখির রহস্য কাকাবাবু বনাম চোরাশিকারি সন্তু কোথায়? কাকাবাবু কোথায়? পরী (ছোটগল্প) কাকাবাবুর প্রথম অভিযান কাকাবাবু বনাম মূর্তিচোর (ছোটগল্প) জোজো অদৃশ্য কাকাবাবু ও চন্দনদস্যু কাকাবাবু ও এক ছদ্মবেশী কাকাবাবু ও শিশুচোরের দল কাকাবাবু ও মরণফাঁদ জোজো-সন্তুর গল্প, কাকাবাবুর উত্তর (ছোটগল্প) কাকাবাবু ও ব্ল্যাক প্যান্থার কাকাবাবু ও আশ্চর্য দ্বীপ কাকাবাবু ও সিন্দুক-রহস্য (জানুয়ারি, ২০০৫) কাকাবাবু ও একটি সাদা ঘোড়া এবার কাকাবাবুর প্রতিশোধ কাকাবাবুর চোখে জল কাকাবাবু আর বাঘের গল্প আগ্নেয়গিরির পেটের মধ্যে (২০০৯) আরবদেশে সন্তু কাকাবাবু কাকাবাবু ও জলদস্যু গোলকধাঁধায় কাকাবাবু অন্যান্য মাধ্যম কমিকস বিজন কর্মকারের আঁকা ও আনন্দ পাবলিশার্স থেকে প্রকাশিত : ভয়ংকর সুন্দর সবুজ দ্বীপের রাজা কলকাতার জঙ্গলে সুযোগ বন্দ্যোপাধ্যায়ের আঁকা ও পারুল প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত : সবুজ দ্বীপের রাজা মিশর রহস্য চলচ্চিত্র কাকাবাবু চরিত্রটি বহুবার বিভিন্ন পরিচালকের দ্বারা চলচ্চিত্রায়িত করা হয়েছে। ১৯৭৯ সালে সবুজ দ্বীপের রাজা, ১৯৯৫ সালে কাকাবাবু হেরে গেলেন?, ২০০১ সালে এক টুকরো চাঁদ, ২০১৩ সালে সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের পরিচালনায় মিশর রহস্য ও ২০১৭ সালে ইয়েতি অভিযান। ২০১৯ এর অক্টোবর মাসে প্রকাশিত হতে চলেছে অপর একটি চলচ্চিত্র কাকাবাবুর প্রত্যাবর্তন। এছাড়াও খালি জাহাজের রহস্য, জঙ্গলের মধ্যে এক হোটেল, কলকাতার জঙ্গলে টেলিফিল্ম আকারে প্রদর্শিত হয়েছে। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অভিনেতারা কাকাবাবুর চরিত্রে অভিনয় করেছেন, তাদের মধ্যে সমিত ভঞ্জ, সব্যসাচী চক্রবর্তী, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, অর্জুন চক্রবর্তী, সুমন্ত মুখোপাধ্যায়ের নাম করা যায়। তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ গুডরিডসে কাকাবাবু আরও দেখুন ফেলুদা ব্যোমকেশ বক্সী বিষয়শ্রেণী:বাংলা সাহিত্যের কাল্পনিক চরিত্র বিষয়শ্রেণী:সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় বিষয়শ্রেণী:গোয়েন্দা চরিত্র
কাকাবাবু
পদ্মানদীর মাঝি ১৯৯৩ সালের একটি বাংলা ভাষায় নির্মিত বাংলাদেশ এবং ভারতের যৌথভাবে নির্মিত চলচ্চিত্র। বাঙালি কথা সাহিত্যিক মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত একই নামের উপন্যাস অবলম্বনে গৌতম ঘোষ চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করেন। এতে অভিনয় করেন - রাইসুল ইসলাম আসাদ, চম্পা, রূপা গঙ্গোপাধ্যায়, উৎপল দত্ত প্রমূখ। কাহিনী সংক্ষেপ মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদ্মা নদীর মাঝি উপন্যাসের পটভূমি বাংলাদেশের বিক্রমপুর-ফরিদপুর অঞ্চল। এই উপন্যাসের দেবীগঞ্জ ও আমিনবাড়ি পদ্মার তীরবর্তী গ্রাম। উপন্যাসে পদ্মার তীর সংলগ্ন কেতুপুর ও পার্শ্ববর্তী গ্রামের পদ্মার মাঝি ও জেলেদের বিশ্বস্ত জীবনালেখ্য চিত্রিত হয়েছে। পদ্মা বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান নদী। এর ভাঙন প্রবণতা ও প্রলয়ংকরী স্বভাবের কারণে একে বলা হয় 'কীর্তিনাশা' বা রাক্ষুসী পদ্মা। এ নদীর তীরের নির্দিষ্ট কোন সীমারেখা নেই। শহর থেকে দূরে এ নদী এলাকার কয়েকটি গ্রামের দীন-দরিদ্র জেলে ও মাঝিদের জীবনচিত্র এতে অঙ্কিত হয়েছে। জেলেপাড়ারর মাঝি ও জেলেদের জীবনের সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্না-অভাব-অভিযোগ - যা কিনা প্রকৃতিগতভাবে সেই জীবনধারায় অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ তা এখানে বিশ্বস্ততার সাথে চিত্রিত হয়েছে। তাদের প্রতিটি দিন কাটে দীনহীন অসহায় আর ক্ষুধা-দারিদ্র‍্যের সাথে লড়াই করে। দুবেলা দুমুঠো খেয়ে-পরে বেঁচে থাকাটাই যেন তাদের জীবনের পরম আরাধ্য। এটুকু পেলেই তারা খুশি । কুশীলব রাইসুল ইসলাম আসাদ ... কুবের চম্পা ... মালা উৎপল দত্ত ... হোসেন রূপা গঙ্গোপাধ্যায় ... কপিলা রবি ঘোষ ... আমিনুদ্দীন হুমায়ুন ফরীদি সুনীল মুখোপাধ্যায় বিমল দেব আজিজুল হাকিম আমিনুল হক চৌধুরী মু্ক্তি আনোয়ার রাসুল ইসলাম তন্দ্রা ইসলাম মমতা শঙ্কর সৈয়দ হাসান ইমাম পুরস্কার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (ভারত) সেরা ফিচার ছবি - পদ্মা নদীর মাঝি দ্বিতীয় সেরা ফিচার ছবি - পদ্মা নদীর মাঝি সেরা পরিচালক - গৌতম ঘোষ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (বাংলাদেশ) সেরা চলচ্চিত্র - পদ্মা নদীর মাঝি (প্রযোজক হাবিবুর রহমান খান) সেরা অভিনেতা - রাইসুল ইসলাম আসাদ সেরা অভিনেত্রী - চম্পা সেরা মেকআপম্যান - মোহাম্মদ আলাউদ্দিন সেরা শিল্প নির্দেশক - মহিউদ্দিন ফারুক তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ পদ্মানদীর মাঝি at calcuttatube.com পদ্মানদীর মাঝি at msn.com পদ্মানদীর মাঝি at hollywood.com পদ্মানদীর মাঝি yahoo.com বিষয়শ্রেণী:১৯৯৩-এর চলচ্চিত্র বিষয়শ্রেণী:১৯৯০-এর দশকের নাট্য চলচ্চিত্র বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশী উপন্যাস অবলম্বনে চলচ্চিত্র বিষয়শ্রেণী:গৌতম ঘোষ পরিচালিত চলচ্চিত্র বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশী চলচ্চিত্র বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশী নাট্য চলচ্চিত্র বিষয়শ্রেণী:ভারতীয় চলচ্চিত্র বিষয়শ্রেণী:ভারতীয় নাট্য চলচ্চিত্র বিষয়শ্রেণী:ভারত-বাংলাদেশ যৌথ প্রযোজনায় নির্মাণ বিষয়শ্রেণী:শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (বাংলাদেশ) বিজয়ী বিষয়শ্রেণী:১৯৯০-এর দশকের বাংলা ভাষার চলচ্চিত্র
পদ্মা নদীর মাঝি (চলচ্চিত্র)