text
stringlengths
11
126k
title
stringlengths
1
182
আর্টসেল (ArtCell বা Artcell) বাংলাদেশের একটি প্রগ্রেসিভ মেটাল ব্যান্ড। তারা অন্যান্য ধারার সঙ্গীতের উপরেও বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পরীক্ষা চালিয়েছে। ২০১৯ সালে ব্যান্ডটির ২০ বছর পূর্ণ হয়। ইতিহাস আর্টসেল ১৯৯৯ সালের আগস্ট মাসে গঠিত হলেও একই বছরে অক্টোবর মাসে তারা আনুষ্ঠানিক ভাবে আত্মপ্রকাশ করে। সেপালচুরা, ড্রিম থিয়েটার, মেটালিকা, পিংক ফ্লয়েড ও প্যান্টেরা ব্যান্ড তাদের মূল অণুপ্রেরণা। তারা প্রাথমিক অবস্থায় আন্ডারগ্রাউন্ড কনসার্টে একদম মেটালিকাকে পুরোপুরি কাভার করত। তারা অ্যালবাম প্রকাশের আগেই দারুণ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। মিশ্র অ্যালবামে তাদের গানগুলো ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে।তাদের প্রথম এবং দ্বিতীয় উভয় অ্যালবামই তাদের শ্রোতা ও সমালোচক মহলে ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়। আর্টসেল ঢাকা ছাড়াও চট্টগ্রাম, সিলেট, খুলনা, রাজশাহী এবং ভারতে বেশ কিছু কনসার্টে অংশ নেয়। ২০০৭-২০১৬ ২০০৯ সালে আর্টসেল কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত পরিচ্ছন্নতা বিষয় দিনব্যাপী প্রচারণায় অংশ নেয়। তারা ২০১০ সালের ৩রা জানুয়ারি অস্ট্রেলিয়াতে কনসার্ট করে প্রবাসীদের জন্য বেলমোর স্পোর্টস গ্রাউন্ডে। ২০১০ সালের ডিসেম্বরে তারা কনসার্ট এগেইনস্ট ভায়োলেন্স টু উইম্যান-এ অংশ নেয়। প্রায় ১০ বছর পর আর্টসেল ২০১৬ সালে তাদের নতুন গান "অবিমৃষ্যতা" মুক্তি দেয়। এরপরে নিজেদের মধ্যকার কিছু সমস্যার কারণে ব্যান্ডের বাকি তিন সদস্য লিড গিটারিস্ট এরশাদ জামানের সাথে কাজ করতে অস্বীকৃতি জানায়। আর এভাবেই আর্টসেলের চার সেলের মধ্যে একজনের বিদায় হয়। পরবর্তীতে ২০১৯ সালে কাজী ফয়সাল আহমেদ লিড গিটারিস্ট হিসেবে যোগদান করেন। আর্টসেলের তাদের তৃতীয় এলবামের একটি গান "সংশয়" ২০১৯ সালে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে উন্মুক্ত করে। এছাড়াও 'রক ফর পিস' প্রজেক্টের অধীনে "অভয়" নামের একটি একক মুক্তি দেয় আর্টসেল। ২০১৯ এর ২৪ ডিসেম্বর তাদের ২০ বছর পূর্তি উপলক্ষে একটি জাঁকমকপূর্ণ সলো কনসার্টের আয়োজন করে যেখানে প্রায় ৮ হাজারেরও বেশি দর্শক উপস্থিত হয়েছিলো। অ্যালবাম সমূহ নিজস্ব অন্য সময় (২০০২) অনিকেত প্রান্তর (২০০৬) অতৃতীয় (এখনো মুক্তি পায়নি) মিশ্র অ্যালবাম ছাড়পত্র গান - অদেখা স্বর্গ অনুশীলন গান - দুঃখ বিলাস গান - অপ্সরী আগন্তুক ১ গান - অস্তিত্বের দিকে পদধ্বনির সম্মোহন আগন্তুক ২ গান - চিলেকোঠার সেপাই দিন বদল গান - আশীর্বাদ লোকায়ত গান - ছেঁড়া আকাশ আগন্তুক ৩ গান - বাংলাদেশ... স্মৃতি এবং আমরা গর্জে ওঠো বাংলাদেশ গান - হুঙ্কারের অপেক্ষায় Rock 303 (রক ৩০৩) গান - কান্ডারি হুঁশিয়ার (নজরুল সঙ্গীত) Riotous 14 (রায়োটাস ১৪) গান - কারার ঐ লৌহ কপাট (নজরুল সঙ্গীত) Live Now (লাইভ নাও) গান - এই বিদায় SingleTrack গান - অভয় Underground (আন্ডারগ্রাউন্ড) গান - উৎসবের উৎসাহে তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ আর্টসেল অফিসিয়াল ওয়েবসাইট আর্টসেল অফিসিয়াল মাইস্পেস বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশের সঙ্গীত বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশের ব্যান্ড বিষয়শ্রেণী:বাংলা সঙ্গীত বিষয়শ্রেণী:বাংলা ব্যান্ড
আর্টসেল
উত্তর চব্বিশ পরগণা জেলা ভারত এর পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা শহরের উত্তরপূর্ব দিকের একটি জেলা। জেলাটি প্রেসিডেন্সি বিভাগের অন্তর্ভুক্ত। ১৯৮৩ সালে ডঃ অশোক মিত্রের প্রশাসনিক সংস্কার কমিটি এই জেলাকে বিভাজনের সুপারিশ করেন। ১৭ই ফাল্গুণ ১৩৯২ বঙ্গাব্দে (১৯৮৬ সালে ১লা মার্চ) ২৪ পরগণা জেলাটিকে দ্বিখণ্ডিত করে ওই জেলার উত্তরাংশ নিয়ে উত্তর ২৪ পরগণা জেলা স্থাপন করা হয়৷ এর প্রশাসনিক ভবন ও সদর দপ্তর বারাসাত শহরে অবস্থিত৷ বারাসাত, বারাকপুর, বনগাঁ, বসিরহাট, বিধাননগর এই পাঁচটি মহকুমা নিয়ে উত্তর ২৪ পরগণা জেলা গঠিত। thumb|বেড়াচাঁপার কাছে চন্দ্রকেতুগড় ঢিপি, উত্তর ২৪ পরগণা, যা প্রায় প্রাক মৌর্য যুগের সময় বলা হয়। নামকরণ ১৭৫৭ সালে বাংলার নবাব মীরজাফর কলকাতার দক্ষিণে কুলপি পর্যন্ত অঞ্চলে ২৪ টি জংলীমহল বা পরগনার জমিদারি সত্ত্ব ভোগ করার অধিকার দেন ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিকে। এই ২৪টি পরগনা হল-১। আকবরপুর ২।আমীরপুর ৩।আজিমবাদ ৪।বালিয়া ৫।বাদিরহাটি ৬।বসনধারী ৭।কলিকাতা ৮। দক্ষিণ সাগর ৯।গড় ১০।হাতিয়াগড় ১১।ইখতিয়ারপুর ১২।খাড়িজুড়ি ১৩।খাসপুর ১৪।মেদনমল্ল ১৫।মাগুরা ১৬।মানপুর ১৭।ময়দা ১৮। মুড়াগাছা ১৯। পাইকান ২০।পেচাকুলি ২১।সাতল ২২।শাহনগর ২৩।শাহপুর ২৪।উত্তর পরগনা। সেই থেকে অঞ্চলটির নাম হয় ২৪ পরগণা। পরবর্তীকালে জেলাটির উত্তরাংশ নিয়ে উত্তর ২৪ পরগণা জেলা গঠিত হয়। ইতিহাস প্রাচীন কাল ২৪ পরগণা অঞ্চলটির অস্তিত্বের প্রথম প্রমাণ পাওয়া যায় খ্রিস্টীয় দ্বিতীয় শতাব্দীতে গ্রিক ভুগোলবিদ টলেমির “ট্রিটিজ অন জিওগ্রাফি” গ্রন্থে৷ তার গ্রন্থে গঙ্গারিডি বা গঙ্গারিদাই নামক একটি অঞ্চলের কথা বলা হয়েছে, যার বিস্তার ছিলো ভাগীরথী-হুগলি নদীর থেকে পূর্বে পদ্মা নদী অবধি। স্বভাবতই বর্তমান ২৪ পরগণা যে এই রাজ্যেরই দক্ষিণ-পশ্চিমে(নৈঋত কোণে) অবস্থিত ছিলো তা স্পষ্ট হয়৷ ভারতীয় প্রত্নতত্ত্ববিদদের উদ্দ্যোগে উত্তর ২৪ পরগণার দেগঙ্গা থানার অন্তর্গত বেড়াচাঁপা গ্রামে খনন করে পাওয়া বস্তুসমূহ প্রমাণ করে এই অঞ্চল সরাসরি গুপ্ত সাম্রাজ্যের অংশ না হলে গুপ্ত সাম্রাজ্যের সাংস্কৃৃতিক প্রভাব ছিলো যথেষ্ট৷ হিউয়েন সাঙের(৬২৯-৬৮৫ খ্রিষ্টাব্দ) ভারতভ্রমণকালে তিনি সমগ্র উত্তর ভারতে যে ১০০ টি মুল হিন্দু মন্দির ও ৩০ টি বৌদ্ধবিহারের উল্লেখ করেন তার বেশ কয়েকটির অবস্থান এই অঞ্চলকে নির্দেশ করে৷ গৌড়রাজ শশাঙ্ক এই অঞ্চলে নিজ শাসন কায়েম করতে পারেনি। পাল বংশের রাজা ধর্মপালের (৭৭০-৮১০ খ্রিষ্টাব্দ) সময়ে এই অঞ্চল তার রাজ্যভুক্ত হয়েছিল বলে মনে করা হয়। তবে সেন যুগের বহু দেব-দেবীর মূর্তি জেলার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আবিস্কৃত হয়েছে। “মনসামঙ্গল” কাব্যে ২৪টি পরগনা জেলার অনেক জায়গার নামের উল্লেখ পাওয়া যায়। চাঁদ সওদাগর চম্পকনগরী থেকে যাত্রা শুরু করে তার তরী ভাসিয়েছিলেন ভাগীরথীর প্রবাহে।তিনি কুমারহট্ট, ভাটপাড়া,কাকিনাড়া,মুলাজোর,গারুলিয়া,ইছাপুর, দিগঙ্গা-চনক (ব্যারাকপুর),খড়দহ, চিৎপুর, কলিকাতা,কালীঘাট ইত্যাদি জায়গা পার হয়েছিলেন।তিনি চম্পকনগরী থেকে যাত্রা শুরু করে বারুইপুরে পৌছেছিলেন। কর্ণপুর রচিত “চৈতন্যচরিতামৃত” গ্রন্থে ও ২৪টি পরগনা জেলার অনেক জায়গার নামের উল্লেখ পাওয়া যায়।“মনসামঙ্গল” কাব্যে ও “চৈতন্যচরিতামৃত” গ্রন্থে পাওয়া বিভিন্ন জায়গার নাম ও বিবরণ তুলনা করলে দেখে যায় ২৪টি পরগনা জেলার উক্ত জায়গাগুলির অস্তিত্ব ছিল। চাঁদসওদাগর বারুইপুরে পৌছে আদি গঙ্গা তীরবর্তী মনসামন্দির লুঠ করেন। শ্রীচৈতন্যদেব বারুইপুরের কাছে অতিসরাতে অনন্ত পন্ডিতের আতিথ্য গ্রহণ করেন।মথুরাপুর থানা অঞ্চলে ছিল ছত্রভোগ বন্দর। মধ্যযুগীয় খ্রিস্টীয় ষোড়শ শতাব্দীর মধ্যভাগে এই অঞ্চলের নদীপথে পর্তুগিজ জলদস্যুদের একচ্ছত্র আধিপত্য ছিল৷ ১০০ বছর তাদের আদিপত্য বজায় ছিল উত্তর ২৪টি পরগনা ও দক্ষিণ ২৪টি পরগনার বসিরহাট অঞ্চলে। এই সময় পর্তুগিজ জলদস্যুদের অত্যাচারে অনেক সমৃদ্ধশালী জনপদ জনশূন্য হয়ে যায়। খ্রিস্টীয় শতাব্দীর শুরুতে মহারাজা প্রতাপাদিত্য সাগরদ্বীপ, সরসুনা ,জগদ্দল প্রভৃতি অঞ্চলে দুর্গ বানিয়ে এদের আটকাবার চেষ্টা করেন ও বিতাড়িত করতে সক্ষম হন৷ মহারাজা প্রতাপাদিত্য ছিলেন বাংলার বারো ভুঁইয়ার(১১ ভুঁইয়া ও ১ মুঘল সম্রাট) একজন, জলদস্যুদের পরাজিত করার পর তিনি যশোর,খুলনা, বরিশালসহ গোটা ২৪টি পরগনা জেলাতে আধিপত্য বিস্তার করেন৷ মহারাজা প্রতাপাদিত্য সলকা ও মগরাহাটের যুদ্ধে মুঘলসম্রাটের হাতে পরাজিত ও বন্দী হন৷ দিল্লী যাত্রাকালে কাশীর নিকট আততায়ী-এর হাতে তিনি নিহত হন৷ লক্ষ্মীকান্ত মজুমদাররে নাতি কেশবচন্দ্র মজুমদার মুর্শিদকুলি খাঁর আমলে দক্ষিণ ২৪টি পরগনা ও খুলনার জমিদার নিযুক্ত হন। ১০১৭ বঙ্গাব্দে(১৬১০ খ্রিষ্টাব্দে) মুঘলদের হাতে প্রতাপাদিত্য পরাজিত হয়৷ প্রতাপাদিত্যের পরাজয়ে বড়িশার সাবর্ণ রায়চৌধুরী বংশের প্রতিষ্টাতা লক্ষ্মীকান্ত মজুমদার(গাঙ্গুলি) বাংলার সুবেদার মানসিংহের পক্ষ নেন। এর প্রতিদানে ১০১৭ বঙ্গাব্দে(১৬১০ খ্রিষ্টাব্দে) সম্রাট জাহাঙ্গির তাকে মাগুরা,পাইকান, আনোয়ারপুর, কলকাতার জমিদারি স্বত্ত্ব দেন। ব্রিটিশ শাসনকাল একই সময় ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বাংলাতে নিজের অবস্থান আরো শক্ত করতে থাকে৷ অতঃপর ১১৬৪ বঙ্গাব্দে(১৭৫৭ খ্রীষ্টাব্দে) ব্রিটিশ বাহিনী বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজ-উদ-দৌল্লাকে পলাশির(বর্তমান নদীয়া জেলাতে অবস্থিত) যুদ্ধে পরাস্ত করেন ও বাংলার স্বাধীনতা-সূর্য অস্তমিত হয়৷ যুদ্ধশেষে লর্ড ক্লাইভকে বাংলার প্রথম জায়গিরদার নিযুক্ত করা হয় ও তার মৃৃত্যুর পরে কোম্পানি সরাসরি এই শাসনভার নেয়৷ এরপর থেকে ব্যবসার আড়ালে ব্রিটিশ সাম্রাজ্য স্থাপনের সূত্রপাত ঘটে৷ ১২০০ বঙ্গাব্দে(১৭৯৩ খ্রীষ্টাব্দে) লর্ড কর্নওয়ালিসের সময়ে সমগ্র সুন্দরবন অঞ্চল ২৪ টি পরগণা অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত ছিলো৷ ১২০৯ বঙ্গাব্দে(১৮০২ খ্রিষ্টাব্দে) নদীয়ার আরো কিছু পরগণাকে ২৪ টি পরগণার অন্তর্ভুক্ত করা হয় এবং ১২২১ বঙ্গাব্দে(১৮১৪ খ্রিষ্টাব্দে) প্রশাসনিক সুবিধার্থে এই নবগঠিত জেলার জন্য আলাদা একজন কালেক্টর নিয়োগ করা হয়৷ পরে ১২২৪ বঙ্গাব্দে(১৮১৭ খ্রীষ্টাব্দে) পলতা ও বরানগর এবং নদীয়ার বলন্দা ও আনোয়ারপুর যথাক্রমে ১২২৭(১৮২০) ও ১২৩১ বঙ্গাব্দে(১৮২৪ খ্রিষ্টাব্দে) ২৪ পরগণার অন্তর্ভুক্ত করা হয়৷ আরো পরে খুলনার দক্ষিণাংশের বেশকিছু অঞ্চল ও বাখেরগঞ্জের দক্ষিণ-পশ্চিমে(নৈঋতে) সামান্য অঞ্চলও এই জেলাটির সঙ্গে যুক্ত করা হয়৷ ১২৩১ বঙ্গাব্দে(১৮২৪ খ্রিষ্টাব্দে) জেলাসদর কলকাতা থেকে বারুইপুরে স্থানান্তরিত করা হয় যা আবার ১২৩৫ বঙ্গাব্দে(১৮২৮ খ্রিষ্টাব্দে) কলকাতারই দক্ষিণে আলিপুরে স্থানান্তরিত করা হয়৷ ১২৪১ বঙ্গাব্দে(১৮৩৪ খ্রিষ্টাব্দে) জেলাটিকে বারাসাত ও আলিপুর এই দুটি নতুনজেলাতে বিভক্ত করি হয়৷ পরে আবার নবনির্মিত জেলাদুটিকে একত্রিত করা হয়৷ পরে অবিভক্ত ২৪ টি পরগণা জেলা বিভিন্ন ব্রিটিশ বিরোধী কাজে লিপ্ত হয়৷ ১৩১২ বঙ্গাব্দে(১৯০৫ খ্রিষ্টাব্দে) বঙ্গভঙ্গের সময়ে জেলা গঠন পুণর্বিশ্লেষ্য বিষয় হয়ে ওঠে৷ জেলাটির সুন্দরবন সংলগ্ন বেশ কিছু অঞ্চল পার্শ্ববর্তী খুলনা ও বাখেরগঞ্জ অঞ্চলের সঙ্গে যুক্ত করে দেওয়া হয় যা বর্তমানেও বাংলাদেশ মুল ভূখণ্ডের উক্ত অঞ্চলদুটিতে রয়েছে৷ স্বাধীনতা পরবর্তী ১৩৫৪ বঙ্গাব্দে(১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দে) দেশভাগের সময় পুর্ববর্তী ২৪ পরগণা জেলার সম্পূর্ণ অংশ ভারতে যুক্ত হলেও যশোর জেলার বনগাঁ, বাগদা ও গাইঘাটা অঞ্চল এই জেলার সাথে যুক্ত করে স্বাধীন ভারতের ২৪ পরগণা জেলা গঠিত হয়৷ ১৩৯০ বঙ্গাব্দে(১৯৮৩ খ্রিষ্টাব্দে) ডাঃ অশোক মিত্রের প্রস্তাবনাতে ১৩৯২ বঙ্গাব্দে(১৯৮৬ খ্রিষ্টাব্দে) জেলাটির উত্তর অংশ নিয়ে উত্তর ২৪ পরগণা জেলা গঠন করা হয় ও লবনহ্রদ(সল্টলেক) বা বিধাননগরকে এই জেলার অন্তর্ভুক্ত করা হয়৷ ঐতিহাসিক আন্দোলন ১২৩১ বঙ্গাব্দে(১৮২৪ খ্রিষ্টাব্দে) জেলাটি ব্রিটিশ বিরোধীতার মুলকেন্দ্র হয়ে ওঠে যখন 'বারাকপুর সেনানিবাসে বাসরত সিপাহীরা ইঙ্গ-বর্মা যুদ্ধে ব্রিটিশদের পক্ষ নিয়ে লড়াই করতে মানা করে৷ এর কারণ ছিলো তৎকালীন ব্রাহ্মণ্যসমাজের মতে সমুদ্র পাড় করা ছিলো হিন্দুশাস্ত্র বিরূদ্ধ কাজ৷ ১১ই কার্তিক(২রা নভেম্বর) বিদ্রোহীদের ওপর আক্রমণ করা হয়, অনেকে পালিয়ে বাঁচলেও দলনেতাদের ব্রিটিশ বাহিনী ফাঁসি দেয়৷ কিছু ঐতিহাসিকদের মতে এটি ছিলো সিপাহী বিদ্রোহের সূত্রপাত৷ পরবর্তী পর্যায়ে ১২৬৩-৬৪ বঙ্গাব্দে(১৮৫৭ খ্রিষ্টাব্দে) প্রেসিডেন্সি বিভাগের সদর দপ্তর বারাকপুরে সিপাহীদের বিদ্রোহ চরম আকার ধারণ করে৷ একে স্বাধীনতার প্রথম যুদ্ধ বলেও আখ্যায়িত করা হয়ে থাকে৷ বিদ্রোহ মুলত শুরু হয়েছিলো সেনানিবাসে আসা নতুন কার্তুজকে নিয়ে৷ সিপাহীরা সন্দেহ করেছিলো যে কার্তুজের কিছু অংশ সম্ভবতঃ এমন কিছু দিয়ে তৈরী যা ছিলো ধর্মবিরূদ্ধ৷ পরে তা প্রমাণ হয়ে যায় যে ঐগুলি গরু ও শুয়োরের চর্বি দিয়ে বানানো হয়েছিলো যা ভারতীয়দের জন্য অব্যবহার্য ছিলো কারণ এগুলিকে দাঁতে কেটে ভরতে হতো বন্দুকে৷ ফলস্বরূপ বারাকপুর সেনানিবাসে সিপাহী মঙ্গল পান্ডের অনুপ্রেরণায় সৈন্যদের তরফ থেকে ৪ঠা চৈত্র ১২৬৩ বঙ্গাব্দে(২০ মার্চ ১৮৫৭ খ্রিষ্টাব্দে) বিদ্রোহ ঘোষিত হয়৷ এরপর থেকে ইংল্যাণ্ডের রাণীর প্রভাবে ভারতের শাসনভার ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির বদলে সরাসরি ইংল্যান্ড সাম্রাজ্য দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হতে থাকে৷ নীলচাষীদের বিদ্রোহও জেলাটির ইতিহাসকে গৌরবান্বিত করেছে৷ ১১৮৪ বঙ্গাব্দে(১৭৭৭ খ্রিষ্টাব্দে) লুইস বোনার্ড বাংলার ফরাসি উপনিবেশ চন্দননগরের দুটি খামারে প্রথম নীলচাষ ও নীলের উৎপাদনকে ত্বরান্বিত করেন৷ ফরাসিদের দৌলতে বয়নশিল্পে ও কাপড়ের রং ধরে রাখতে নীলের ব্যবহার ও চাহিদা ততদিনে ইউরোপে বৃৃদ্ধি পেয়েছিলো ফলে ব্রিটিশ কোম্পানিও এই নীলচাষকে বৃদ্ধি করতে চায়৷ এর ফলে পত্তনিপ্রথা চালু করে যেসব জমিতে নীলচাষ উৎকৃষ্ট সেখানের জমিদারদের থেকে কোম্পানি জমাগুলির মালিকানা দাবি করে৷ যদিও রাজা রামমোহন রায় ও দ্বারকানাথ ঠাকুরের মতো কিছু জমিদার এই ব্যবসার বিরোধিতা করছিলেন৷ এটি মুলত দু'ভাবে হতো, হয় ভুমিহীন শ্রমিকদের দ্বারা নীলকুঠির তত্ত্বাবধানে অথবা অন্যান্য চাষিদের নীলচাষে ঋণ দিয়ে৷ জমিদার ও পত্তনিদারদের হাতে সরাসরি এই দায়িত্ব থাকতো৷ ১২৩৭ বঙ্গাব্দে(১৮৩০-৩১ খ্রিষ্টাব্দে) বারাসাত, বনগাঁ, বসিরহাট অঞ্চলে নীলচাষে বিমুখ চাষীদের বিদ্রোহ দমন করতে কোম্পানি ও স্থানীয় জমিদাররা একীভূত হয়৷ পরিশেষে ১২৬৬ বঙ্গাব্দে(১৮৫৯-৬০) নাগাদ নীলকুঠিতে নীলচাষীদের প্রতি অত্যাচারকে কেন্দ্র করে নীলচাষীরা ও ২৪ পরগণার শ্রীরামপুর গ্রামের তালুকদার শিবনাথ ঘোষ সহ কিছু জমিদারগোষ্ঠীর সমর্থনে নীলবিদ্রোহ ২৪ পরগণা ও পার্শ্ববর্তী নদীয়া ও যশোর জেলাতে ব্যাপক আকার নেয়৷ নীলবিদ্রোহ সম্বন্ধীয় দীনবন্ধু মিত্রের নীলদর্পণ নাটকটি বেশ উল্লেখযোগ্য৷ ভূপ্রকৃৃতি উত্তর ২৪ পরগণা জেলাটি নিম্ন গাঙ্গেয় ব-দ্বীপ অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত৷ গাঙ্গের ব-দ্বীপ বিশ্বের বৃৃহত্তম ব-দ্বীপ৷ জেলাটিতে কোনো উচ্চভূমি বা মালভূমির অস্তিত্ব নেই৷ এর ভূমিরূপকে মুলতঃ তিনভাগে বিভক্ত করা যেতে পারে যথা- ১)ইছামতী-রায়মঙ্গল সমভূমি - জেলাটির পূর্ব দিকে অবস্থিত বর্ষার জলে পুষ্ট বিভিন্ন ছোটো ছোটো নদী ও গঙ্গার শাখানদী দ্বারা বাহিত পলি সঞ্চিত হয়ে এই সমভূমি গঠিত হয়েছে৷ ২)উত্তর বিদ্যাধরী সমভূমি - বিদ্যাধরী নদীর উত্তরাংশ প্রধানত বিভিন্ন নিকাশি নালা ও মজে যাওয়া নদীর দ্বারা পুষ্ট৷ এই অঞ্চলের বৈশিষ্ট হলো লবনাক্ত ও অগভীর জলাভূমির উপস্থিতি৷ ৩)হুগলি অববাহিকা - হুগলি নদীর পূর্বপাড়ে অবস্থিত উত্তর ২৪ পরগণা জেলার পশ্চিমাংশ হুগলি নদীর বাহিত পলি দ্বারা গঠিত৷ এই অঞ্চল বরাবর প্রাকৃৃতিক নদীর বাঁধ দেখা যায়৷ বনভূমি উত্তর ২৪ পরগণার ৪৩ বর্গকিলোমিটার অঞ্চল বনভূমি আচ্ছাদিত৷ পুর্ব প্রান্তে হিঙ্গলগঞ্জ, মিনাখাঁ, সন্দেশখালি ও হাবড়া অঞ্চলে বনভূমির উপস্থিতি স্পষ্ট৷ কৃৃষিভূমি উত্তর ২৪ পরগণা জেলাটি কৃৃষিকাজে উন্নত৷ বারাকপুর ও বারাসাত শিল্পাঞ্চল ও দক্ষিণের লবনাক্ত মৃৃত্তিকা বাদ দিলে প্রায় সর্বত্র চাষাবাদ করা হয়৷ ধান, গম, পাট, ইক্ষু, তৈলবীজ এ অঞ্চলের মুল ফসল৷ অর্থনীতি উত্তর ২৪ পরগণা জেলার গঙ্গাতীরবর্তী অঞ্চল কলকাতা উপনগরীর অন্তর্ভুক্ত৷ স্বভাবতই উত্তর শহরতলি শিল্পাঞ্চলটি শিল্প ও চাকুরীবহুল৷ অন্যান্য অঞ্চলে বসবাসকারী মানুষ কৃৃষিকাজ ছাড়াও খামার, কুটিরশিল্প, মাছচাষ ইত্যাদি জীবিকার সাথে জড়িত৷ কৃৃষিভিত্তিক ভূমি ব্যবহারের হার গড়ে ৩.২ হেক্টর৷ পশ্চিমবঙ্গের অর্থনীতিতে অনগ্রসর নয় এমন জেলাগুলির মধ্যে উত্তর ২৪ পরগণা জেলা অন্যতম কিন্তু জেলাটির দক্ষিণে অবস্থিত সুন্দরবন ও সুন্দরবন সংলগ্ন অঞ্চল অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে ও বেশ কিছুক্ষেত্রে তার মাপকাঠি দারিদ্রসীমার নিচে৷ কলকাতার তথ্যপ্রযুক্তি কেন্দ্র(দ্য ইনফরমেশন টেকনোলজি হাব) এই জেলাতেই অবস্থিত, যা বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গে 'সিলিকন ভ্যালি' নামে আখ্যায়িত হতে চলেছে৷ এটি কলকাতার জনপ্রিয় তথ্যপ্রযুক্তি ও বহুরাষ্ট্রীয় সংস্থাগুলির অন্যতম আলোচনা ও আধিকারিক স্থান৷ ১৪২৪ বঙ্গাব্দে(২০১৭ খ্রিষ্টাব্দে) আনুমানিক গণনা অনুযায়ী ৫.৮ লক্ষ চাকুরীর জোগান দিয়েছে এই কেন্দ্রগুলি যা সল্টলেকের মুলত সেক্টর ৫ ও সেক্টর ৩ অঞ্চলে কেন্দ্রীভুত৷ সল্টলেক-বিধাননগর ছাড়াও রাজারহাট-নিউ টাউন অঞ্চলটি দ্রুত উন্নতিশীল৷ সুযোগ সুবিধা, পরিবহন ও সৌন্দর্যায়ন সহ পর্যটন ও এই অঞ্চলগুলির অর্থনীতিরাকান্ডারী৷ অপর একটি পুরাতন শিল্পোন্নত অঞ্চল হলো বারাকপুর মহকুমা ও বারাসাত শহরাঞ্চল৷ এখানে মুলত কারখানা ও বেশ কিছু পুরোনো সংস্থার দপ্তর অবস্থিত, তাছাড়া কলকাতার সাথে পরিবহনের সুযোগ সুবিধা থাকার জন্য বারাকপুরে ও জেলাসদর বারাসাতে জেলা বিষয়ক দপ্তরগুলি অবস্থিত৷ গঙ্গা নদীর পাড়ের সৌন্দর্যায়নের সাথে বিভিন্ন শিশু উদ্যান, দর্শনোদ্যান ও উপস্থিত৷ ইতিহাস-সমৃৃদ্ধ স্থানগুলির উপস্থিতি ও ব্রিটিশ শাসনের কিছু ঐতিহ্যপুর্ণ স্থাপত্য সহ ধর্মীয় স্থলগুলি জেলার অর্থনীতিকে ক্রমোন্নত করছে৷ অবস্থান ও জনসংখ্যা জেলাটির উত্তরে : বাংলাদেশ রাষ্ট্র ও পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের নদীয়া জেলা জেলাটির উত্তর পূর্বে(ঈশান) : বাংলাদেশ রাষ্ট্র জেলাটির পূর্বে : বাংলাদেশ রাষ্ট্র জেলাটির দক্ষিণ পূর্বে(অগ্নি) : বাংলাদেশ রাষ্ট্র জেলাটির দক্ষিণে : পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলা জেলাটির দক্ষিণ পশ্চিমে(নৈঋত) : পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলা ও পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কলকাতা জেলা জেলাটির পশ্চিমে : পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের হাওড়া জেলা ও পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের হুগলি জেলা জেলাটির উত্তর পশ্চিমে(বায়ু) : পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের নদীয়া জেলা অক্ষাংশ: ২২ ডিগ্রী ১১' ০৬" উঃ থেকে ২৩ ডিগ্রী ১৫' ০২" উঃ দ্রাঘিমাংশ: ৮৮ ডিগ্রী ২০' পূঃ থেকে ৮৯ ডিগ্রী ০৫' পূঃ জেলার আয়তন: ৪০৯৪ বর্গ কিমি রাজ্যের জেলায়তনভিত্তিক ক্রমাঙ্ক : ২৩ টি জেলার মধ্যে ৯ম জেলার আয়তনের অনুপাত : পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের ৪.৬১% আয়তন মোট জনসংখ্যা (২০০১ জনগণনা): ৮৯৩৪২৮৬ (২০১১ জনগণনা): ১০০০৯৭৮১ রাজ্যে জনসংখ্যাভিত্তিক ক্রমাঙ্ক : ২৩ টি জেলার মধ্যে ১ম (ভারতে ২য়) জেলার জনসংখ্যার অনুপাত : পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের ১০.৯৭% লোক উত্তর ২৪ পরগণা জেলাতে বাস করেন ৷ জেলার জনঘনত্ব : ২০০১ সালে ২১৮২ এবং ২০১১ সালে তা বৃদ্ধি পেয়ে ২৪৪৫ জন প্রতি বর্গকিলোমিটার হয়েছে জেলার জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার : ২০০১-২০১১ সালের মধ্যে জনসংখ্যা বৃৃদ্ধির হার ১২.০৪% , যা ১৯৯১-২০১১ সালের ২২.৬৯% বৃদ্ধির হারের থেকে কম ৷ লিঙ্গানুপাত : ২০১১ সমগ্র : ৯৫৫ শিশু(০-৬ বৎ) : ৯৫৬ স্বাক্ষরতা : ৭৮.০৭%(২০০১) ৮৪.০৬%(২০১১) পুরুষ : ৮৩.৯২%(২০০১) ৮৭.৬১%(২০১১) নারী : ৭১.৭২%(২০০১) ৮০.৩৪% (২০১১) শিশুর(০-৬ বৎ) অনুপাত : সমগ্র জনসংখ্যার ৯.৫৭% ধর্ম উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার ৫৪% জনগণ সনাতনধর্মাবলম্বী । ৪৬% ইসলাম ধর্মাবলম্বী । জনসংখ্যার উপাত্ত ভাষা নদনদী উত্তর ২৪ পরগণা জেলার অবস্থান নিম্ন গঙ্গা-বদ্বীপ অঞ্চলে তাই এ জেলায় প্রবাহিত নদনদীগুলি গঙ্গা-পদ্মার শাখানদী ও মূলত জোয়ারের জলে পুষ্ট নদী৷ জেলাটিতে প্রবাহিত নদীগুলি নিম্নরূপ- ইছামতি নদী বেতনা নদী কপোতাক্ষ নদ কোদালিয়া নদী যমুনা নদী হুগলী নদী সোনাই খাল{পুর্বনাম সুবর্ণবতী জলাভাবে তা বর্তমানে খালে পরিণত হয়েছে} নোয়াই খাল{পুর্বনাম লাবণ্যবতী জলাভাবে তা বর্তমানে খালে পরিণত হয়েছে} বিদ্যাধরী নদী পদ্মা নদী চৈতা নদী চালুন্দিয়া নদী নাউভাঙা নদী ধানশা নদী বড় কলাগাছি নদী ছোট কলাগাছি নদী রায়মঙ্গল নদী ঝিল্লা নদী হাড়িয়াভাঙা নদী কাঠাখালি নদী সোনাই নদী পরিবহন ও যোগাযোগ উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার প্রধান যোগাযোগ ব্যবস্থা ট্রেন পথ। কলকাতা(শিয়ালদহ) থেকে নৈহাটি মেন লাইন,কলকাতা(শিয়ালদহ)থেকে বনগাঁও শাখা।এবং বারাসাত থেকে হাসনাবাদ শাখা। এছাড়াও বাস পরিষেবা খুবই উন্নত। জেলা সদর বারাসত তিতুমীর বাসস্ট্যান্ড থেকে রাজ্যের প্রায় সব জেলাতেই বাস পরিষেবা অত্যন্ত দৃঢ়। বারাসত, বরানগর, হাবরা, বসিরহাট, বনগাঁ, কাকিনাড়া, নৈহাটি, দেগঙ্গা, স্বরূপনগর, মছলন্দপুর, ব্যারাকপুর, অশোকনগর, চাকলা(লোকনাথ বাবার ধাম), হাসনাবাদ প্রভৃতি বাস টার্মিনাল গুলি থেকে জেলা ও জেলার বাইরে বাস পরিষেবা চালু আছে। আকাশ পথে রাজ্যের বৃহত্তম এয়ারপোর্ট আন্তর্জাতিক নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু এয়ারপোর্ট। যা দমদমে অবস্থিত। পর্যটন ও দর্শনীয় স্থান উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার প্রধান পর্যটন কেন্দ্র সুন্দরবন। এছাড়াও রয়েছে বিভূতিভূষন অভয়অরণ্য, পারমোদন, চাকলা (লোকনাথ বাবার ধাম ও সাত গম্বুজ মসজিদ ও পুকুর)। ঠাকুরনগর, জলেস্বর শিব মন্দির,কচুয়া লোকনাথ ধাম। ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিদ্যালয় বরানগর রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রম উচ্চ বিদ্যালয় আগরপাড়া মহাজাতি বিদ্যাপীঠ গরিফা উচ্চ বিদ্যালয় বনগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয় সোদপুর উচ্চ বিদ্যালয় নহাটা উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় বারাসাত গভ: হাই স্কুল বারাকপুর গভ: হাই স্কুল বিষ্ণুপুর স্যার রমেশ ইনস্টিটিউট আড়িয়াদহ কালাচাঁদ উচ্চ বিদ্যালয় নৈহাটি নরেন্দ্র নিকেতন। দোগাছিয়া উচ্চ বিদ্যালয়। নৈহাটি মহেন্দ্র বিদ্যালয়। নৈহাটি আদর্শ বিদ্যালয়। প্রফুল্ল সেন গার্লস দক্ষিন চাতরা উচ্চ বিদ্যালয়। চাতারা নেতাজী বালিকা শিক্ষা নিকেতন। চারঘাট মিলন মন্দির বিদ্যাপীঠ, মহাবিদ্যালয় নারুলা ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি বারাকপুর রাষ্ট্রগুরু সুরেন্দ্রনাথ কলেজ বিধাননগর কলেজ গোবরডাঙ্গা হিন্দু কলেজ চন্দ্রকেতুগড় শহীদুল্লাহ স্মৃতি মহাবিদ্যালয় শ্রীচৈতন্য কলেজ, হাবড়া বারাসত গভর্নমেন্ট কলেজ সারদা মা গার্লস কলেজ ডিরোজিও মেমোরিয়াল কলেজ পূর্ব কলকাতা গার্লস কলেজ মৃণালিনী দত্ত মহাবিদ্যাপীঠ প্রকৌশল ও চামড়া প্রযুক্তির সরকারি মহাবিদ্যালয় বারাসাত কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউট মৌলানা আবুল কালাম আজাদ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় ভগিনী নিবেদিতা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাডামাস বিশ্ববিদ্যালয় টেকনো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটি নেতাজি সুভাষ মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনিক বিভাগ সীমান্ত বিভাগ প্রশাসনিক উপবিভাগ ব্যারাকপুর মহকুমা হুগলী নদীর পূর্ব পারে জুড়ে বারাকপুর মহকুমার প্রশাসনিক সদর দপ্তর বারাকপুর৷ প্রধানত শহরকেন্দ্রিক এই মহকুমা ইন্জিনিয়ারিং, পাটকল, রাসায়নিক শিল্পর জন্য বিখ্যাত৷ ভারতের প্রাচীনতম সেনানিবাস বারাকপুরে অবস্থিত৷ ইতিহাসগত ভাবে বারাকপুর মহকুমার গুরুত্ব অপরিসীম৷ ১৮৫৭র মহাবিদ্রোহর প্রথম শহীদ বারাকপুরের মঙ্গল পান্ডে৷ এছাড়া বঙ্কিম চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, রাষ্ট্রগুরু সুরেন্দ্র নাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্মস্থান বারাকপুর মহকুমা৷ হিন্দুতীর্থ দক্ষিণেশ্বর এই মহকুমায় অবস্থিত৷ অসংখ্য বিদ্যালয়, মহাবিদ্যালয় সমৃদ্ধ বারাকপুর মহকুমা শিক্ষাক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে৷ এখানে মেডিক্যাল কলেজ সহ একাধিক উন্নতমানের সরকারী ও বেসরকারী হাসপাতাল আছে৷ সড়কপথ, জলপথ ও রেলপথে বারাকপুর কলকাতা সহ সমগ্র রাজ্যের সঙ্গে যুক্ত৷ মেট্রোরেল বারাকপুর মহকুমাকে নোয়াপাড়া ও দমদম স্টেশনের মাধ্যমে যুক্ত করেছে, যা অদূর ভবিষ্যতে আরো সম্প্রসারিত হবে৷ কলকাতা বিমানবন্দর প্রশাসনিক ভাবে বারাকপুর মহকুমার অন্তর্গত৷ বারাসত সদর মহকুমা বারাসত এই জেলার জেলাসদর৷ পাঁচটি পৌরসভা সমৃদ্ধ এই মহকুমায় ৭টি ব্লক ও পঞ্চায়েত সমিতি আছে৷ যশোহর রোড, ৩৪ নং জাতীয় সড়ক দ্বারা এই মহকুমা কলকাতার সঙ্গে যুক্ত৷ এছাড়া রেলপথে এই মহকুমা কলকাতাকে বসিরহাট ও বনগাঁ মহকুমাকে যুক্ত করেছে৷ শীঘ্রই মেট্রোরেলও এই মহকুমাকে কলকাতার সঙ্গে যুক্ত করবে এই মহকুমাতেও অনেক বিদ্যালয়, মহাবিদ্যালয় ও একটি বিশ্ববিদ্যালয় আছে৷ সরকারী বেসরকারী অনেকগুলি হাসপাতাল মহকুমা তথা রাজ্যের মানুষকে চিকিৎসা পরিষেবা প্রদান করছে৷ বনগাঁ মহকুমা বনগাঁ মহকুমা বনগাঁ, গাইঘাটা ও বাগদা ব্লক ও বনগাঁ পৌরসভা নিয়ে গঠিত৷ সীমান্ত বাণিজ্য ও কৃষি এই মহকুমার প্রধান অর্থনৈতিক ভিত্তি৷ সড়কপথে যশোর রোডের মাধ্যমে মহকুমাটি কলকাতার সঙ্গে যুক্ত৷ রেলপথে বনগাঁ কলকাতা ও নদীয়ার রাণাঘাটের সঙ্গে যুক্ত৷ মতুয়া সম্প্রদায়ের পূণ্যতীর্থ ঠাকুরনগর এই মহকুমায় অবস্থিত৷ বসিরহাট মহকুমা বসিরহাট এইজেলার বৃহত্তম মহকুমা৷ তিনটি পুরসভা ১০টি ব্লক নিয়ে এই মহকুমা গঠিত৷ কৃষিভিত্তিক এই মহকুমার দক্ষিণ অংশ সুন্দরবনের অংশ৷ টাকী রোড এবং রেলপথে মহকুমাটি কলকাতার সঙ্গে যুক্ত৷ বিধাননগর মহকুমা বিধাননগর মহকুমা বিধাননগর কর্পোরেশন নিয়ে গঠিত৷ উন্নত আধুনিক নগরজীবনের সকল সুবিধা সম্পন্ন বিধাননগর রাজ্যের অন্যতম প্রধান প্রশাসনিক কেন্দ্র৷ তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পর ক্ষেত্রে ভারতের অন্যতম কেন্দ্রস্থল বিধাননগর৷ বিধানসভা আসন এই জেলায় ৩৩টি বিধানসভা কেন্দ্র আছে, যা রাজ্যের মধ্যে সর্বোচ্চ৷ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, বাংলা সাহিত্যিক সঞ্জীবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, বাংলা সাহিত্যক, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের সহোদর বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়, বাংলা সাহিত্যিক বিমল কর, বাংলা সাহিত্যিক প্রমথনাথ বসু, বাঙালি ভূতত্ত্ববিদ, বিজ্ঞানী প্রমথনাথ মিত্র, বিপ্লবী তারকনাথ দাস, বিপ্লবী অসিতকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়, বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসকার, অধ্যাপক, গবেষক। পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমির প্রাক্তন সভাপতি। প্রভাস সরকার, বাঙালী বিপ্লবী উমাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়, বাঙালি কবি ত্রৈলোক্যনাথ মুখোপাধ্যায়, বাংলা সাহিত্যিক জিৎ গাঙ্গুলী শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় অভিষেক চ্যাটার্জী তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ উত্তর ২৪ পরগণা জেলা প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট পশ্চিমবঙ্গের জেলাসমূহ প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট বিষয়শ্রেণী:পশ্চিমবঙ্গের জেলা বিষয়শ্রেণী:উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলা বিষয়শ্রেণী:ভারতের সংখ্যালঘু ঘনীভূত জেলা
উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলা
বীরভূম জেলা হল ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের একটি প্রশাসনিক একক। জেলাটি বর্ধমান বিভাগের অন্তর্গত সর্ব উত্তরের জেলা৷ এই জেলার সদর দফতর সিউড়ি শহরে অবস্থিত। বোলপুর, রামপুরহাট ও সাঁইথিয়া এই জেলার অপর তিনটি প্রধান শহর। বীরভূম জেলার পশ্চিমে ভারতের ঝাড়খণ্ড রাজ্যের জামতাড়া, দুমকা ও পাকুড় জেলা এবং অপর তিন দিকে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ, পূর্ব বর্ধমান ও পশ্চিম বর্ধমান জেলা অবস্থিত। বীরভূমকে বলা হয় "রাঙামাটির দেশ"। এই জেলার ভূসংস্থান ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য পশ্চিমবঙ্গের অন্যান্য জেলার তুলনায় একটু আলাদা। জেলাটির পশ্চিমাঞ্চল ছোটোনাগপুর মালভূমির অন্তর্গত ঝোপঝাড়ে পরিপূর্ণ একটি এলাকা। এই অঞ্চলটি পশ্চিমদিক থেকে ক্রমশ ঢালু হয়ে নেমে এসে মিশেছে পূর্বদিকের পলিগঠিত উর্বর কৃষিজমিতে। ইতিহাসে বীরভূম জেলায় একাধিকবার ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক আন্দোলন হয়েছে। শান্তিনিকেতনে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় এই জেলার আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন একটি প্রতিষ্ঠান। সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যে সুসমৃদ্ধ এই জেলায় একাধিক উৎসব ও মেলা অনুষ্ঠিত হয়। শান্তিনিকেতনের পৌষমেলা ও জয়দেব কেন্দুলির বাউল মেলা সেগুলির মধ্যে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। বীরভূমের অর্থনীতি মূলত কৃষিভিত্তিক। এই জেলার মোট জনসংখ্যার ৭৫% কৃষিকার্যের উপর নির্ভরশীল। জেলার প্রধান কৃষিকাজ হল তুলা চাষ ও রেশম চাষ এবং শিল্পগুলি হল তাঁত বয়ন, চালকল, তৈলবীজের কল, লাক্ষা উৎপাদন, পাথর খনি, ধাতুশিল্প ও মৃৎশিল্প। বক্রেশ্বর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র এই জেলার একমাত্র ভারী শিল্পকেন্দ্র। নাম-ব্যুৎপত্তি "বীরভূম" নামটির সম্ভাব্য উৎস "বীরভূমি" শব্দটি; যার অর্থ "বীরের দেশ"। অন্য একটি মতে, বাগদী রাজা বীর মল্লের নামানুসারে এই জেলার নামকরণ করা হয়েছে। বীর মল্ল ১৫০১ থেকে ১৫৫৪ সাল পর্যন্ত এই অঞ্চলের শাসক ছিলেন। অপর পক্ষে, সাঁওতালি ভাষায় বীর শব্দের অর্থ বন; অর্থাৎ, বীরভূম শব্দের অপর অর্থ বনভূমি হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। ভূগোল ২৩° ৩২' ৩০" ও ২৪° ৩৫' ০" উত্তর অক্ষাংশ (কর্কটক্রান্তি রেখার উপরে) এবং ৮৭° ৫' ৪৫" ও ৮৮° ১' ৪০" পূর্ব দ্রাঘিমাংশের মধ্যে অবস্থিত বীরভূম জেলার মোট আয়তন ৪৫৪৫ বর্গকিলোমিটার। ত্রিকোণাকার এই জেলার নিম্নস্থ বাহুটি গঠন করেছে অজয় নদ এবং এর শীর্ষবিন্দু স্থাপিত হয়েছে উত্তরে। উক্ত নদ বর্ধমান ও বীরভূম জেলার সীমানাও নির্ধারণ করেছে। ঝাড়খণ্ড রাজ্য জেলার পশ্চিম ও উত্তর সীমান্ত বরাবর প্রসারিত। পূর্বদিকে অবস্থিত মুর্শিদাবাদ ও পূর্ব বর্ধমান জেলার কিয়দংশ। ভৌগোলিক বিচারে এই অঞ্চল ছোটোনাগপুর মালভূমির উত্তর-পূর্বাংশে অবস্থিত; যার ঢাল পূর্বদিকে ক্রমশ নেমে এসে পললসমৃদ্ধ গাঙ্গেয় সমতলভূমিতে এসে মিশেছে। জেলাটির পশ্চিম দিকে প্রাকৃতিকভাবে পাথুরে গঠনে তৈরী হয়েছে একমাত্র পাহাড়, মামা ভাগ্নে পাহাড় যা দুবরাজপুর শহরের সন্নিকটে অবস্থিত। বর্তমানে এটি একটি সুপরিচিত পর্যটন স্থল। বীরভূম জেলার পশ্চিমাংশ অতীতে বজ্জভূমি বা বজ্রভূমি নামে পরিচিত ছিল। এই অঞ্চলটি ছিল এক ঊষর তরঙ্গায়িত উচ্চভূমি। কিন্তু জেলার পূর্বাংশ অপেক্ষাকৃত উর্বরতর। রাঢ় অঞ্চলের উত্তর-পূর্বে অবস্থিত এই অংশটিই গাঙ্গেয় সমভূমিতে বিলীন হয়েছে। রাঢ়ের একটি অংশও বজ্জভূমির অন্তর্গত ছিল; অবশিষ্ট রাঢ়কে বজ্জভূমি থেকে পৃথক করার উদ্দেশ্যে সুহ্ম নামে অভিহিত করা হত। জলবায়ু জেলার পশ্চিমাংশের জলবায়ু শুষ্ক ও চরম প্রকৃতির; পূর্বাংশের জলবায়ু অবশ্য অপেক্ষাকৃত মৃদু। গ্রীষ্মে তাপমাত্রার পারদ ৪০º সেন্টিগ্রেড ছাড়িয়ে যায়; আবার শীতকালে ১০º সেন্টিগ্রেডের নিচে নেমে আসে। লক্ষ্য করা গেছে যে পশ্চিমাংশের বৃষ্টিপাত পূর্বাংশের তুলনায় অধিক। বর্ষাকালে (জুন-সেপ্টেম্বর) রাজনগর ও নানুরে বার্ষিক বৃষ্টিপাতের পরিমাণ যথাক্রমে ১৪০৫ মিলিমিটার ও ১২১২ মিলিমিটার। বীরভূম জেলার মাসিক বৃষ্টিপাতের তালিকা নদনদী বীরভূম জেলায় অসংখ্য নদনদী প্রবাহিত হয়। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য অজয়, ময়ূরাক্ষী (মোর), কোপাই, বক্রেশ্বর, ব্রাহ্মণী, দ্বারকা, হিংলো, চপলা, বাঁশলৈ, পাগলা নদী ইত্যাদি। সিউড়ির নিকট ময়ূরাক্ষী নদীতে তিলপাড়া বাঁধ প্রকল্পের মাধ্যমে জেলার ২৪২৮ বর্গকিলোমিটার অঞ্চলে জলসেচের ব্যবস্থা করা হয়েছে। জেলার প্রায় সমস্ত নদীই ছোটোনাগপুর মালভূমিতে উৎপন্ন ও পূর্ববাহিনী। বর্ষাকালে এইসব নদীতে জলস্ফীতি ভয়ংকর আকার নেয়; কিন্তু গ্রীষ্মের শুষ্ক মাসগুলিতে এরা সংকুচিত হয়ে যায়। খরা ও বন্যার চক্রাকার আবর্তন শুধুমাত্র জীবন ও সম্পত্তি হানির কারণই হয় না, বরং তা জেলাবাসীর জীবনযাত্রাকে দুর্বিষহ কষ্টের মধ্যে ঠেলে দেয়। ইতিহাস প্রাগৈতিহাসিক ও প্রাচীন যুগ thumb|right|250px| রামকিঙ্কর বেইজ নির্মিত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ভাস্কর্য, আমার কুটির বর্তমানে বীরভূম নামে পরিচিত অঞ্চলটি প্রাগৈতিহাসিক যুগ থেকেই জনবসতিপূর্ণ। আউসগ্রামের পাণ্ডু রাজার ঢিবি সম্পর্কিত কয়েকটি তাম্রপ্রস্তরযুগীয় প্রত্নস্থল এই জেলায় অবস্থিত। জেলার বিভিন্ন অঞ্চলে প্রস্তরযুগের নানা নিদর্শনও পাওয়া গেছে। আচারাঙ্গ সূত্র নামক একটি প্রাচীন জৈন ধর্মগ্রন্থের বিবরণী অনুযায়ী, সর্বশেষ (২৪তম) তীর্থঙ্কর মহাবীর ভ্রমণ করতে করতে এই অঞ্চলে এসে উপস্থিত হয়েছিলেন। উক্ত গ্রন্থে খ্রিস্টপূর্ব পঞ্চম শতকের এই অঞ্চল বজ্জভূমি ও সুব্বভূমি (সম্ভবত সুহ্ম) অঞ্চলে স্থিত লাঢ়ার পথহীন দেশ নামে চিহ্নিত হয়েছে। কোনো কোনো ঐতিহাসিকের মতে রাঢ় অঞ্চলে বৌদ্ধ ও জৈনধর্মের প্রচার ছিল এই অঞ্চলের আর্যীকরণের একটি অঙ্গ।দিব্যাবদান নামক একটি বৌদ্ধ ধর্মগ্রন্থের ভিত্তিতে ডক্টর অতুল সুর প্রমাণ করেন যে গৌতম বুদ্ধ এই অঞ্চলের উপর দিয়েই ভ্রমণ করে পুণ্ড্রবর্ধন ও সমতট অঞ্চলে যান। রাঢ় অঞ্চল কোনো এক সময় মৌর্য সাম্রাজ্যের অঙ্গীভূত হয়। পরবর্তীকালে এই অঞ্চল গুপ্ত সাম্রাজ্য, শশাঙ্ক ও হর্ষবর্ধনের সাম্রাজ্যভুক্তও হয়েছিল। হর্ষবর্ধনের সাম্রাজ্যের পতনের পর খ্রিস্টীয় দ্বাদশ শতাব্দী পর্যন্ত পাল রাজারা এই অঞ্চল শাসন করেন। তারপর এই অঞ্চলের শাসনভার সেন রাজাদের হস্তগত হয়। পালযুগে বৌদ্ধধর্ম, বিশেষত মহাযান বৌদ্ধধর্ম, এই অঞ্চলে বিকশিত হয়ে উঠেছিল। খ্রিস্টীয় সপ্তম শতাব্দীতে চীনা পর্যটক হিউয়েন সাং তাঁর ভ্রমণ-বিবরণীতে এই অঞ্চলে তাঁর দেখা কয়েকটি মঠের বর্ণনা দিয়েছেন। মধ্যযুগ খ্রিস্টীয় ত্রয়োদশ শতাব্দীতে এই অঞ্চলে মুসলমান শাসন স্থাপিত হয়। যদিও জেলার পশ্চিমাংশে এই শাসনের প্রভাব ছিল অল্প। এই অঞ্চল মূলত বীর রাজবংশ নামে পরিচিত স্থানীয় হিন্দু শাসনকর্তাদের দ্বারা শাসিত হত। তাঁদের শাসনের ধ্বংসাবশেষ দেখা যায় হেতমপুর, বীরসিংপুর ও রাজনগর শহরে।. তবাকৎ-ই-নাসিরি গ্রন্থকার মিনহাজ-ই-সিরাজ লখনুরকে রাঢ়ের একটি থানাহ্ তথা মুসলমান শাসনের একটি শাখা'' ও একটি গুরুত্বপূর্ণ সীমান্তচৌকি বলে উল্লেখ করেন। লখনুরের সঠিক অবস্থান জানা না গেলেও মনে করা হয় এটি বর্তমান বীরভূম ভূখণ্ডেরই অন্তর্গত ছিল। পৌরাণিক বিবরণ অনুযায়ী বজ্জভূমির (পশ্চিম বীরভূম) অরণ্যাঞ্চল হিন্দু ও তান্ত্রিক ক্রিয়াকলাপের পীঠভূমি। ঐতিহাসিক ডক্টর অতুল সুরের মতে, বজ্জভূমির জনবসতিবিরল জঙ্গলগুলি নির্জনতার কারণেই ধর্মীয় আচারানুষ্ঠান পালনের আদর্শ স্থানে পরিণত হয়। কোনো কোনো গ্রন্থকার বীরভূমকে তান্ত্রিক পরিপ্রেক্ষিতে কামকোটী নামে অভিহিত করেছেন। বজ্রযান, শাক্ত ও বৌদ্ধ তান্ত্রিকরা তন্ত্রসাধনার উদ্দেশ্যে এই অঞ্চলে বহু মন্দির নির্মাণ করেন। বীরভূমে অনেকগুলি শক্তিপীঠ অবস্থিত। এগুলি হল তারাপীঠ, বক্রেশ্বর, কঙ্কালীতলা, ফুল্লরা (লাভপুরের নিকট), সাঁইথিয়া ও নলহাটি। তারাপীঠের অন্যতম প্রসিদ্ধ শক্তিউপাসক ছিলেন বামদেব, যিনি বামাখ্যাপা নামে সমধিক পরিচিত। আধুনিক যুগ ১৭৮৭ সালে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনকালে বীরভূম নামক প্রশাসনিক জেলাটির জন্ম হয়। তার আগে এটি মুর্শিদাবাদ জেলার অংশ ছিল। ১৭৮৭ সালে সদ্য প্রতিষ্ঠিত "District Beerbhoom" বা "ডিস্ট্রিক্ট বীরভূম" ছিল বর্তমান বীরভূমের তুলনায় আকারে অনেক বড়ো একটি জেলা। ১৭৯৩ সাল পর্যন্ত "Bishenpore" বা "বিষ্ণুপুর" (বর্তমানে বিষ্ণুপুর, বাঁকুড়া জেলা) এই জেলার অন্তর্গত ছিল। ১৮৫৭ সালে মহাবিদ্রোহের আগে পর্যন্ত সাঁওতাল পরগনাও এই জেলার অন্তর্গত ছিল। অর্থাৎ, সেই সময় পশ্চিমে এই জেলার বিস্তৃতি ছিল দেওঘর পর্যন্ত। ১৮৫৫-৫৬ সালে অবিভক্ত বীরভূমের পশ্চিমাঞ্চলে সংগঠিত সাঁওতাল বিদ্রোহের কারণে এই আদিবাসী-অধ্যুষিত পশ্চিমাঞ্চলটিকে জেলা থেকে বাদ দেওয়ার আশু প্রয়োজন অনুভূত হয়। তাই বিদ্রোহ দমনের পর কর্তৃপক্ষ জেলাটিকেও ভাগ করে দেন। আজও বীরভূমে এই বিদ্রোহের দুই নায়ক সিধু ও কানুকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করা হয়। অর্থনীতি thumb|right|250px| বীরভূমের গ্রাম thumb|right|250px|আমার কুটিরে পণ্য প্রদর্শনী বীরভূম মূলগতভাবে একটি কৃষিনির্ভর জেলা। এই জেলার অধিবাসীদের ৭৫ শতাংশই কৃষিকাজের সঙ্গে নিযুক্ত। বীরভূমের বনভূমির মোট আয়তন ১৫৯.৩ বর্গকিলোমিটার এবং ৩৩২৯.০৫ বর্গকিলোমিটার অঞ্চল কৃষিকাজের জন্য ব্যবহৃত হয়। মোট জনসংখ্যার ৯১.০২ শতাংশ বাস করে গ্রামাঞ্চলে। মোট ৪,৫০,৩১৩ জন কৃষিজীবির (৩,২০,৬১০ হেক্টর ভূমির ধারক) মধ্যে ৩,৫৯,৪০৪ জন প্রান্তিক কৃষক (মোট ১,৪১,৮১৩ হেক্টর জমির ধারক), ৬৩,৩৭৪ জন ক্ষুদ্র কৃষক (মোট ৯৫,১৪৪ হেক্টর জমির ধারক), ২৬,২৩৬ জন অর্ধ মধ্যবর্তী কৃষক (মোট ৭৬,৯৯৮ হেক্টর জমির ধারক), ১,২৯০ জন মধ্যম কৃষক (মোট ৬,২১৫ হেক্টর জমির ধারক) এবং ৯ জন বৃহৎ কৃষক (মোট ৪৪০ হেক্টর জমির ধারক)৷ গড়ে কৃষক প্রতি ভূমির পরিমাণ ০.৭১ হেক্টর৷ কৃষিজাত পণ্যের ওপর ভিত্তি করে বীরভূম জেলায় ৬,০৭,১৭২জন শ্রমজীবী হিসাবে নিযুক্ত৷ জেলায় উৎপন্ন খাদ্যফসলগুলির মধ্যে চাল, শুঁটি, গম, ভুট্টা, আলু ও আখ উল্লেখযোগ্য। জেলায় তেরোটি হিমঘর আছে। ২০০১-০২ সালের হিসেব অনুযায়ী বীরভূমের মোট সেচসেবিত অঞ্চল ২৭৬৩.৯ বর্গকিলোমিটার। সেচ পরিষেবা সুনিশ্চিত করার জন্য সমগ্র জেলায় পাঁচটি বাঁধ গড়ে তোলা হয়েছে। ময়ূরাক্ষী নদীর উপর ম্যাসাঞ্জোরের কানাডা বাঁধ বীরভূম-ঝাড়খণ্ড সীমানার খুব কাছে ঝাড়খণ্ডের দুমকা জেলায় অবস্থিত। ময়ূরাক্ষীর ভাটিতে তিলপাড়া বাঁধটি জেলাসদর সিউড়ির কাছে অবস্থিত। বীরভূম কুটিরশিল্পের একটি বিশিষ্ট কেন্দ্র। সম্ভবত জেলার সর্বাধিক খ্যাতনামা কুটিরশিল্পকেন্দ্রটি হল আমার কুটির নামক এক অলাভজনক গ্রামীণ সংস্থা। বীরভূমের অন্যতম প্রধান শিল্পগুলি হল কৃষিভিত্তিক শিল্পসমূহ, বস্ত্রবয়ন, কাষ্ঠশিল্প ও চারুশিল্পকলা। শ্রীনিকেতন তার দুগ্ধ ও কাষ্ঠশিল্পের জন্য বিখ্যাত। বস্ত্রবয়ন শিল্প বীরভূমের একটি বিশেষ উল্লেখযোগ্য কুটিরশিল্প। বিশেষত সূতি, স্থানীয় কৃষিজ তসর সিল্ক, পাটের কাজ, বাটিক, কাঁথাস্টিচ, ম্যাকরেম (গিঁটযুক্ত সুতোর কাজ), চামড়া, মৃৎশিল্প ও টেরাকোটা, শোলাশিল্প, কাঠখোদাই, বাঁশশিল্প, ধাতুশিল্প ও বিভিন্ন আদিবাসী শিল্পকলা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। জেলায় মোট ৮,৮৮৩ টি ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প রয়েছে। প্রধান প্রধান শিল্পগুলি হল সূতি ও রেশমচাষ ও বয়নশিল্প, চাল ও তৈলবীজ মিল, লাক্ষাচাষ, ধাতু ও মৃৎশিল্প। বক্রেশ্বর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র (২১০ মেগাওয়াট x ৩ + নির্মীয়মান ২১০ মেগাওয়াট X ২) জেলার একমাত্র বৃহৎ শিল্প। সাঁইথিয়া বীরভূম জেলার ব্যবসায়িক দপ্তর এবং অর্থনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ শহর৷ কুটির শিল্পের কাঁচামাল ক্রয়-বিক্রয় ও শিল্পজাত দ্রব্যের বিক্রয়ের একটি বড় কেন্দ্র এই সাঁইথিয়া৷ বিপুল পরিমান ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান রয়েছে এই শহরে, কৃষিজাত পণ্যের ওপর ভিত্তি করেই এই শহরে অর্থনীতি উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে৷ ২০০৬ খ্রিস্টাব্দে ভারত সরকারের গ্রামীণ বিকাশ এবং পঞ্চায়েত রাজ মন্ত্রণালয় বীরভূম জেলাটিকে ভারতের তৎকালীন ৬৪০ টি জেলার মধ্যে অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া আড়াইশো টি জেলার তালিকার অন্তর্ভুক্ত করেছে। এরকম পিছিয়ে পড়া জেলার তকমা প্রাপ্ত পশ্চিমবঙ্গের এগারো জেলার মধ্যে বীরভূম একটি। জেলাটি ব্যাকওয়ার্ড রিজিওন গ্রান্ট ফান্ড বা বিআরজিএফ এর আওতাভুক্ত। রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক বিভাগ বীরভূম জেলা তিনটি মহকুমায় বিভক্ত: সিউড়ি সদর, বোলপুর ও রামপুরহাট। সিউড়ি বীরভূমের জেলাসদর। জেলায় ২ টি মহিলা থানা ও একটি সাইবার থানা সহ মোট ২৭ টি থানা, ১৯টি সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক, ৬টি পুরসভা ও ১৬৯টি গ্রামপঞ্চায়েত রয়েছে। পুরসভা এলাকা ছাড়াও প্রত্যেকটি মহকুমা সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকে বিভক্ত; যেগুলি আবার গ্রামীণ অঞ্চল ও সেন্সাস টাউনে বিভক্ত। সামগ্রিকভাবে এই অঞ্চলে সাতটি নগরাঞ্চল দেখা যায়: ছয়টি পুরসভা ও একটি সেন্সাস টাউন। ২০০০ সালে পৌরসভার মর্যাদা পাওয়া নলহাটি এই জেলার সাম্প্রতিকতম শহর। ২০০৬ সালের বিধানসভা নির্বাচন পর্যন্ত বীরভূম জেলা ১২টি বিধানসভা কেন্দ্রে বিভক্ত ছিল।: নানুর (বিধানসভা কেন্দ্র #২৮৩), বোলপুর (বিধানসভা কেন্দ্র #২৮৪), লাভপুর (বিধানসভা কেন্দ্র #২৮৫), দুবরাজপুর (বিধানসভা কেন্দ্র #২৮৬), রাজনগর (বিধানসভা কেন্দ্র #২৮৭), সিউড়ি (বিধানসভা কেন্দ্র #২৮৮), মহম্মদবাজার (বিধানসভা কেন্দ্র #২৮৯), ময়ূরেশ্বর (বিধানসভা কেন্দ্র #২৯০), রামপুরহাট (বিধানসভা কেন্দ্র #২৯১), হাঁসন (বিধানসভা কেন্দ্র #২৯২), নলহাটি (বিধানসভা কেন্দ্র #২৯৩) ও মুরারই (বিধানসভা কেন্দ্র #২৯৪)। নানুর, রাজনগর, ময়ূরেশ্বর ও হাঁসন কেন্দ্রগুলি তফসিলি জাতির প্রার্থীদের জন্য সংরক্ষিত। উক্ত নির্বাচনটি পশ্চিমবঙ্গে সংসদীয় ক্ষেত্রগুলির সীমানা পুনর্নিধারণের আগে অনুষ্ঠিত হয়। ২০০৮ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি ও তার পরবর্তী সময়ে অনুষ্ঠিত নির্বাচনগুলির ক্ষেত্রে সীমানা নির্ধারণ কমিশনের সিদ্ধান্ত বলবৎ হয়েছিল। ভারতের সাধারণ নির্বাচন, ২০০৯ নবগঠিত সংসদীয় ক্ষেত্রগুলির ভিত্তিতে অনুষ্ঠিত হয়। নবগঠিত বিধানসভা কেন্দ্রগুলির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ২০১১ সালে। thumb|right|কেন্দুবিল্বর টেরাকোটা সীমানা নির্ধারণ কমিটির সুপারিশ অনুসারে এই জেলাকে বর্তমানে ১১টি বিধানসভা কেন্দ্রে বিভক্ত করা হয়েছে: দুবরাজপুর (বিধানসভা কেন্দ্র #২৮৪), সিউড়ি (বিধানসভা কেন্দ্র #২৮৫), বোলপুর (বিধানসভা কেন্দ্র #২৮৬), নানুর (বিধানসভা কেন্দ্র #২৮৭), লাভপুর (বিধানসভা কেন্দ্র #২৮৮), সাঁইথিয়া (বিধানসভা কেন্দ্র #২৮৯), ময়ূরেশ্বর (বিধানসভা কেন্দ্র #২৯০), রামপুরহাট (বিধানসভা কেন্দ্র #২৯১), হাঁসন (বিধানসভা কেন্দ্র #২৯২), নলহাটি (বিধানসভা কেন্দ্র #২৯৩) ও মুরারই (বিধানসভা কেন্দ্র #২৯৪)। দুবরাজপুর, নানুর ও সাঁইথিয়া তফসিলি জাতি প্রার্থীদের জন্য সংরক্ষিত। পূর্বতন রাজনগর বিধানসভা কেন্দ্রটি বিলুপ্ত হয়েছে। দুবরাজপুর, সিউড়ি, সাঁইথিয়া, রামপুরহাট, হাঁসন, নলহাটি ও মুরারই বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের অংশ। বিশিষ্ট চলচ্চিত্রাভিনেত্রী শতাব্দী রায় ২০০৯ সালে এই লোকসভা কেন্দ্র থেকে ভারতীয় সংসদে নির্বাচিত হয়েছেন। অন্যদিকে বোলপুর, নানুর, লাভপুর ও সাঁইথিয়া বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত। বর্ধমান জেলার তিনটি বিধানসভা কেন্দ্রও এই সংসদীয় কেন্দ্রের অন্তর্গত। লোকসভার প্রাক্তন অধ্যক্ষ সোমনাথ চট্টোপাধ্যায় বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের দীর্ঘকালের সাংসদ ছিলেন। পরিবহণ পানাগড়—মোরগ্রাম সড়ক এই জেলার উপর দিয়ে প্রসারিত। সকল গ্রাম ও শহর সড়কপথের দ্বারা সংযুক্ত। জেলার মোট পাকা সড়কপথের দৈর্ঘ্য ২৪১৩ কিলোমিটার ও কাঁচা রাস্তার দৈর্ঘ্য ৪৬৭৪ কিলোমিটার। এর বিপরীতে জেলার মোট রেলপথের দৈর্ঘ্য ২০১.৩২ কিলোমিটার। এর মধ্যে রয়েছে ২৬.৫৫ কিলোমিটার দীর্ঘ আহমেদপুর-কাটোয়া ন্যারো (অধুনা ব্রড গেজ)গেজ ট্র্যাক, যার সূচনা ঘটে ১৯১৭ সালে। ১৮৬০ সালে স্থাপিত পূর্ব রেলের হাওড়া-সাহিবগঞ্জ লুপ লাইনটিও এই জেলার উপর দিয়ে প্রসারিত। নলহাটি জংশনের মাধ্যমে মুর্শিদাবাদ জেলার জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জের সঙ্গে সংযোগ রক্ষা করা হয়। অন্ডাল-সাঁইথিয়া লাইনটি অন্ডালে হাওড়া-দিল্লি মেন লাইনের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। thumb|250px|রাধাবিনোদ মন্দির, জয়দেব কেন্দুলি, বীরভূম জনপরিসংখ্যান ১৯০১ সালে বীরভূমের জনসংখ্যা ছিল ৯০২,২৮০। ১৯৮১ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ২,০৯৫,৮২৯। ২০০১ সালের জনগণনা তথ্য অনুসারে এই জনসংখ্যা আরও বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩,০১৫,৪২২। নিম্নোল্লিখিত সারণিতে জেলার জনপরিসংখ্যান সংক্রান্ত তথ্য প্রদত্ত হল: ২০০১ সালের জনগণনা তথ্য অনুসারে জেলার মোট জনসংখ্যার ৬৫ শতাংশ হিন্দু। অবশিষ্ট (৩৩.০৬ শতাংশ) মূলত মুসলমান।. অন্যান্য ধর্মাবলম্বীরা জনসংখ্যার মধ্যে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছেন। ২০০১ সালের জনগণনা তথ্য অনুযায়ী, মোট জনসংখ্যার ২৯.৫ শতাংশ তফসিলি জাতি ও ৬.৭ শতাংশ তফসিলি উপজাতি। ২০১১ খ্রিস্টাব্দে ভারতের জনগণনা অনুসারে জেলাটির ৬২ শতাংশ হিন্দু ধর্মাবলম্বী এবং ৩৭ শতাংশ মুসলিম ধর্মাবলম্বী মানুষ বাস করেন৷ অন্যান্য ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায় জেলার জনসংখ্যার ১ শতাংশ৷ ২০১১ খ্রিস্টাব্দে ভারতের জনগণনা অনুসারে বীরভূম জেলার মোট জনসংখ্যা ৩৫,০২,৩৮৭ জন, যা লিথুয়ানিয়া রাষ্ট্রের বা আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের কানেকটিকাট রাজ্যের জনসংখ্যার সমতুল্য৷ ঐ বছর জনসংখ্যার বিচারে ভারতের ৬৪০ টি জেলার মধ্যে বীরভূম জেলা ৮৪তম স্থান অধিকার করেছে৷ জেলাটির জনঘনত্ব ৷ ২০০১ থেকে ২০১১ খ্রিস্টাব্দ অবধি এই জেলার জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ছিলো ১৬.১৫ শতাংশ৷ বীরভূম জেলার প্রতি হাজার পুরুষে ৯৫৬ জন নারী বাস করেন৷ জেলাটির সর্বমোট সাক্ষরতার হার ৭০.৯০ শতাংশ৷ ভাষা বাংলা এই জেলার সর্বাধিক প্রচলিত ভাষা৷ বাঙালিরা ছাড়াও সাঁওতাল ও আরও দশটি উপজাতি এই জেলায় বাস করে। এদের মধ্যে কোড়া, মহালি ও ওঁরাও উল্লেখযোগ্য। এখানকার বাঙালিরা বাংলার স্থানীয় উপভাষায় কথা বলেন। সংস্কৃতি বীরভূমের বাউলদের দর্শন ও সঙ্গীত জেলার লোকসংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। এছাড়াও বীরভূমে অনেক কবিয়াল, কীর্তনীয়া ও অন্যান্য লোকসংস্কৃতি গোষ্ঠীর বসবাস। বীরভূমে অসংখ্য মেলা অনুষ্ঠিত হয়। এরমধ্যে সর্বাধিক প্রসিদ্ধ শান্তিনিকেতনের পৌষমেলা। পৌষ মাসে আরম্ভ হয়ে এই মেলাগুলি মকর সংক্রান্তি পর্যন্ত চলে। জয়দেব কেন্দুলির মেলা অত্যন্ত উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে পালিত হয়। এই মরশুমে বিভিন্ন উৎসবও পালিত হয়। বীরভূমের মানুষ যাত্রা, কবিগান ও আলকাপের মতো লোকবিনোদন অনুষ্ঠানের পৃষ্ঠপোষকতা করেন। thumb|right|250px|শান্তিনিকেতনে বাউলের দল বীরভূমে অনেক কবির জন্ম হয়েছে তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য জয়দেব, চণ্ডীদাস ও জ্ঞানদাস। বৈষ্ণব, শাক্ত ও শৈবধর্মের ত্রিবেণীসংগম বীরভূমের গ্রামগুলিতে নানান গ্রামদেবতা পূজার প্রাগৈতিহাসিক প্রথা আজও বিদ্যমান। thumb|250px|left|রবীন্দ্রনাথ ও সস্ত্রীক মহাত্মা গান্ধী - শান্তিনিকেতন আম্রকুঞ্জে বীরভূমের প্রধান দ্রষ্টব্যস্থলগুলির মধ্যে অন্যতম বক্রেশ্বর, তারাপীঠ ও পাথরচাপুরি। জয়দেব কেন্দুলি, সুরুল ও নানুরের পুরনো মন্দিরগুলি তাদের টেরাকোটা (পোড়ামাটি) ভাস্কর্যের জন্য বিখ্যাত। থাম্ব|তারাশংকর বন্দ্যোপাধ্যায়ের পৈত্রিক কাছারী, লাভপুর ব্যক্তিত্ব বীরভূমে, বিশেষত শান্তিনিকেতনে অনেক বিশিষ্ট মানুষ জন্মগ্রহণ অথবা কর্মজীবন অতিবাহিত করেছেন। নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন তাদের মধ্যে অন্যতম। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই জেলাকে তার বাসস্থানে পরিণত করেন। এখানেই তিনি তার প্রসিদ্ধ শিক্ষাকেন্দ্র বিশ্বভারতীর স্থাপনা করেন। অজয় নদের তীরে জয়দেব কেন্দুলিতে দ্বাদশ শতাব্দীর বিশিষ্ট সংস্কৃত কবি জয়দেব জন্মগ্রহণ করেছিলেন। নানুরে জন্মগ্রহণ করেন চতুর্দশ শতাব্দীর বিশিষ্ট কবি পদাবলিকার চণ্ডীদাস। বৈষ্ণবধর্মের প্রতিষ্ঠাতা চৈতন্য মহাপ্রভুর প্রধান পার্ষদ নিত্যানন্দ স্বামী (বিখ্যাত গৌর-নিতাই যুগলের নিতাই) জন্মগ্রহণ করেন এই জেলার একচক্রা গ্রামে। আধুনিক বাংলা সাহিত্যের স্বনামধন্য কথাসাহিত্যিক তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় (১৮৯৮ – ১৯৭১) এই জেলার লাভপুরে জন্মগ্রহণ করেন। তার রচনায় বীরভূমের গণজীবনের অনেক চিত্র পাওয়া যায়। চৈতন্য গবেষক জয়দেব মুখোপাধ্যায় বীরভূম জেলার বোলপুরে জন্মগ্রহন করেন। বাংলাদেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এবং পাকিস্তানের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার আবদুস সাত্তার ১৯০৬ খ্রিস্টাব্দে এই বীরভূম জেলাতেই জন্মগ্রহণ করেন৷ বাংলাদেশের বৈজ্ঞানিক তথা পাকিস্তান একাডেমী অব সায়েন্সেস-এর এককালীন অধ্যক্ষ মুহম্মদ কুদরাত-এ-খুদা ১৯০০ খ্রিস্টাব্দে বীরভূম জেলাতেই জন্মগ্রহণ করেছিলেন৷ উদ্ভিদ ও প্রাণী বীরভূম জেলার পূর্বাংশ পশ্চিমবঙ্গের ধান-উৎপাদক অঞ্চলের অন্তর্গত। তাই এই অঞ্চলের উদ্ভিদপ্রকৃতি বাংলার ধান-উৎপাদক অঞ্চলের উদ্ভিদপ্রকৃতির মতোই। অ্যাপোনোগেটন, আল্ট্রিকুলেরিয়া, ড্রসেরা, ফিলকক্সিয়া, স্ক্রোফালারিয়াসি বা সমজাতীয় জলজ অথবা পালাস্ট্রিন প্রজাতির উদ্ভিজ্জ এখানে চোখে পড়ে। পশ্চিমের শুষ্ক অংশে দেখা যায় ওয়েন্ডল্যান্ডিয়া, কনভলভেলাসি, স্ট্রিপা, ট্র্যাগাস, স্পেরম্যাকোসি, জিজিফাস, ক্যাপারিস এবং ল্যাটেরাইট মৃত্তিকায় জাত অন্যান্য উদ্ভিজ্জ। আম, তাল ও বাঁশ সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। অন্যান্য গাছের মধ্যে কাঁঠাল, অর্জুন, শাল, পেয়ারা, কেন্দ ও মহুয়া গাছ চোখে পড়ে। বুনো কুকুর ও গৃহপালিত পশু ছাড়া যে স্তন্যপায়ীর দেখা সবচেয়ে বেশি মেলে সেটি হল হনুমান। চিনপাই, বান্দারসোল ও চারিচার বনাঞ্চলে বুনো শুয়োর ও নেকড়ের দেখাও মেলে। তবে এই অঞ্চলে আর কোথাও চিতাবাঘ বা ভাল্লুকের দেখা মেলে না। মহুয়া গাছে ফুল ফোটার মরশুমে ঝাড়খণ্ড থেকে হাতির পাল নেমে এসে শস্য নষ্ট করে এবং জীবন ও সম্পত্তিহানির কারণ হয়ে ওঠে। বীরভূমে পার্বত্য ও সমতলীয় উভয়প্রকার পাখিই দেখা যায়: তিতির, পায়রা, সবুজ পায়রা, জলকুক্কুট, দোয়েল, ফিঙে, বাজ, কোকিল, তোতা ইত্যাদি এবং নানা পরিযায়ী পাখি দেখা যায়। ১৯৭৭ সালে শান্তিনিকতনের নিকটস্থ বল্লভপুর বনাঞ্চল একটি অভয়ারণ্য হিসাবে ঘোষিত হয়। এই বনাঞ্চলে অনেক অর্থকরী গাছ রোপণ করা হয়েছে এবং কৃষ্ণমৃগ, চিতল হরিণ, শিয়াল, খ্যাঁকশিয়াল ও নানা ধরনের জলচর পাখি বাস করে। শিক্ষাব্যবস্থা ও সাক্ষরতার হার ১৯৫১ সালে স্বাধীন ভারতের প্রথম জনগণনা অনুযায়ী, বীরভূম জেলার সাক্ষরতার হার ছিল ১৭.৭৪%। ১৯৯১ সালে এই হার বেড়ে হয় ৪৮.৫৬%। ২০১১ সালের সর্বশেষ জনগণনা অনুযায়ী, বীরভূম জেলার সাক্ষরতার হার ৭০.৯%। বিংশ শতাব্দীর শেষ ভাগে নিরক্ষরতা দূরীকরণের ক্ষেত্রে সরকারি উদ্যোগের প্রেক্ষাপটে সাক্ষরতার হার বৃদ্ধি বিশেষভাবে লক্ষণীয়। মনে করা হয়েছিল, ২০১০ সালের মধ্যে ৬ থেকে ১৪ বছর বয়সী সকল ছেলেমেয়েকে বিদ্যালয়ে প্রেরণ করার জাতীয় লক্ষ্যমাত্রা স্পর্শ করতে পারবে না। কিন্তু সেই লক্ষ্যমাত্রা পূরণের জন্য যাবতীয় চেষ্টাও করা হয়েছে। জেলায় সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত ১২৭টি গ্রন্থাগার, একটি বেসরকারি গ্রন্থাগার ও একটি জেলা গ্রন্থাগার রয়েছে। খেলাধূলা ঘরের বাইরের খেলাগুলির মধ্যে ডাংগুলি খেলা বীরভূমের সাধারণ মানুষের মধ্যে এক সময় খুব জনপ্রিয় ছিল। ঘরের বাইরে এবং ঘরের ভেতরে উভয় ক্ষেত্রেই বীরভূমের শিশু-কিশোরদের মধ্যে মার্বেল খেলা যথেষ্ট পরিমাণে লক্ষ্যনীয়৷ এই খেলায় একটি মারক গুলিকে আঙ্গুলের সাহায্যের সবুজ বা কালচে রঙের লক্ষ্য মার্বেলের ওর নিশানা লাগাতে হয়৷ কিন্তু সাম্প্রতিক কালে ক্রিকেট এই দুই খেলার জনপ্রিয়তা অনেক কমিয়ে দিয়েছে৷ এছাড়া ক্রিকেটের সাথে সাথে ফুটবল, কাবাডি ও ভলিবলও এই জেলায় খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। জেলাটিতে পঞ্চাশ বছর আগে পর্যন্ত ডাংগুলি ও মার্বেল খেলা প্রায়শই দেখা যেত৷ বীরভূমের সর্বত্রই ঘরের বাইরের খেলাগুলির মধ্যে বর্তমানে ক্রিকেট ও ফুটবল সবচেয়ে বেশি দেখা যায়৷ জেলাসদর সিউড়ীতে একটি টেনিস কোর্টও রয়েছে, এখানে টেনিস প্রশিক্ষণ চলে৷ এছাড়া ঘুড়ি ওড়ানো, সাঁতার, ক্যারাটে প্রভৃতিও প্রচলিত৷ প্রসিদ্ধ ব্যাক্তিত্ব তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়, বাঙালি ঔপন্যাসিক প্রণব মুখোপাধ্যায়, ভারতের ত্রয়োদশতম রাষ্ট্রপতি অমর্ত্য সেন, ভারতীয় অর্থনীতিবীদ এবং নোবেলজয়ী সুমিত্রা দেবী, মূলত উনবিংশ শতাব্দীর চল্লিশ এবং পঞ্চাশের দশকে হিন্দি ও বাংলা সিনেমার অভিনেত্রী সাহানা বাজপেয়ী, ভারতীয় বাঙালি গায়িকা, লেখিকা এবং বর্তমানকালে অতিপরিচিত রবীন্দ্র সংগীত গায়িকা। বাসুদেব দাস বাউল, বাঙালি বাউল গায়ক আনন্দমোহন চক্রবর্তী, ভারতীয় মার্কিন অনুজীববিদ, বিজ্ঞানী, গবেষক৷ তিনি পরিচালিত বিবর্তনের উপর গবেষণার কাজের বিখ্যাত। সত্যেন্দ্র প্রসন্ন সিংহ, ব্রিটিশ ভারতের উল্লেখযোগ্য বিচারক ও আইনবিদ সুতপা বিশ্বাস, বৃটিশ-ভারতীয় ধারণাভিত্তিক চিত্রকর একরাম আলি, ভারতীয় বাঙালি কবি মোহাম্মদ কিবরিয়া, বাংলাদেশী শিল্পী মুহম্মদ কুদরাত-এ-খুদা, বাংলাদেশী জৈব-রসায়নবিদ, শিক্ষাবিদ এবং লেখক। তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ বেঙ্গল ডিস্ট্রিক্ট গেজেটিয়ারস বীরভূম, ও’ম্যালে এল.এস.এস., ১৯১০, (বারকোড (৬০১০০১০০৭৬০০২), ভাষা ইংরেজি; ভারতের ডিজিট্যাল লাইব্রেরি থেকে ভারতীয় ন্যাশনাল ইনফরমাটিক্স সেন্টার দ্বারা প্রতিস্থাপিত সরকারি বীরভূম জেলা ওয়েবসাইট পশ্চিমবঙ্গের জেলাসমূহ প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট বিষয়শ্রেণী:পশ্চিমবঙ্গের জেলা * বিষয়শ্রেণী:ভারতের সংখ্যালঘু ঘনীভূত জেলা বিষয়শ্রেণী:১৭৮৭-এ প্রতিষ্ঠিত
বীরভূম জেলা
সন্দ্বীপ বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলে বঙ্গোপসাগরে অবস্থিত চট্টগ্রাম জেলার অন্তর্গত উপজেলা। এটি বাংলাদেশের অত্যন্ত প্রাচীন একটি দ্বীপ। ইতিহাস থাম্ব|বাম|250px|জেমস রেনেলের তৈরি করা ১৭৭৮ সালের মানচিত্রে সন্দ্বীপ। ইউরোপীয়দের লেখা ইতিহাসে জানা যায় যে সন্দ্বীপে প্রায় তিন হাজার বছরের অধিককাল ধরে লোক বসতি বিদ্যমান। এমনকি এককালে এর সাথে সংযুক্ত থাকা নোয়াখালীতে মানুষের বসতি স্থাপনের পূর্বেই সন্দ্বীপে জনবসতি গড়ে উঠেছিল।। সন্দ্বীপের লবণশিল্প, জাহাজ নির্মাণ কারখানা ও বস্ত্রশিল্প পৃথিবীখ্যাত ছিল। উপমহাদেশের উপকূলীয় এলাকায় অবস্থিত হওয়ায় পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলের ভ্রমণকারীরা এই অঞ্চলে এসে তাদের জাহাজ নোঙ্গর করতেন এবং সহজ বাণিজ্য ব্যবস্থা এবং পরিবহন সুবিধাদি থাকায় এই অঞ্চলে ব্যবসা এবং বসতি স্থাপনে আগ্রহ প্রকাশ করতেন। ১৭৭৬ সালের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, প্রতি বছর সন্দ্বীপে উৎপাদিত প্রায় ১ লক্ষ ৩০ হাজার মণ লবণ, তিনশ জাহাজে করে দেশের বিভিন্ন এলাকায় পাঠানো হত। থাম্ব|250px|সন্দ্বীপের উপকূলীয় অঞ্চলে নৌযান তৈরির দৃশ্য সন্দ্বীপ এককালে কম খরচে মজবুত ও সুন্দর জাহাজ নির্মানের জন্য পৃথিবীখ্যাত ছিল। ইউরোপের বিভিন্ন এলাকায় এই জাহাজ রপ্তানি করা হতো। তুরস্কের সুলতান এই এলাকার জাহাজের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে এখান থেকে বেশ কিছু জাহাজ কিনে নেন। ভারতবর্ষের মধ্যে সন্দ্বীপ ছিল একটি সমৃদ্ধশালী বন্দর। লবণ ও জাহাজ ব্যবসা, শস্য সম্পদ ইত্যাদির প্রতি আকৃষ্ট হয়ে ষোড়শ শতাব্দীর মধ্যভাগে পর্তুগিজরা সন্দ্বীপে উপনিবেশ স্থাপন করেন। এছাড়া ভ্রমণ ও ধর্মপ্রচারের উদ্দেশ্যে ফরাসি ও ওলোন্দাজ পরিব্রাজকরা প্রায়ই সন্দ্বীপে আগমন করতেন। ১৬১৫ সালে পর্তুগিজদের সাথে আরকান রাজ্যের যুদ্ধে ২০০ জন সৈন্য-সহ পর্তুগিজ সেনাপতি ইমানুয়েল মার্তুস নিহত হযন এবং পর্তুগিজরা সন্দ্বীপ ত্যাগ করলে ১৬১৬ সালে মগরাজ সন্দ্বীপ দখল করে। এরপর সন্দ্বীপে আরকান ও মগদের প্রাধান্য থাকলেও তাদের পরাধীনতাকে অস্বীকার করে এ অঞ্চলে প্রায় অর্ধ শতাব্দী শাসন করেন দেলোয়ার খাঁ। ১৬৬৬ সালে তার রাজত্বের পতন ঘটে এবং মোগল সরকারের অধীনে জমিদারি প্রথার সূচনা ঘটে, যা পরবর্তীতে ব্রিটিশ রাজত্বের অবসানের সাথে সাথে বিলুপ্ত হয়। সন্দ্বীপের রূপে মুগ্ধ হয়ে যুগে যুগে অনেক কবি, সাহিত্যিক, ঐতিহাসিক, পর্যটক এসেছেন এখানে। ১৩৪৫ খ্রিষ্টাব্দে ঐতিহাসিক পর্যটক ইবনে বতুতা সন্দ্বীপে আসেন। ১৫৬৫ সালে ডেনিশ পর্যটক সিজার ফ্রেডরিক সন্দ্বীপে আসেন এবং এর বহু প্রাচীন নিদর্শনের বর্ণনা লিপিবদ্ধ করেন। ১৯২৯ খ্রিষ্টাব্দের ২৮শে জানুয়ারি কাজী নজরুল ইসলাম রাজনীতিবিদ মোজাফ্‌ফর আহমেদের সাথে সন্দ্বীপে আসেন। সন্দ্বীপ ভ্রমণের সময়কার স্মৃতির পটভূমিকাতেই কাজী নজরুল ইসলাম তার মধুবালা গীতিনাট্য রচনা করেন। সন্দ্বীপে বৃক্ষের ছায়াতলে বসে নজরুল তার চক্রবাক কাব্যগ্রন্থের অনেকগুলো কবিতা রচনা করেন। এ উপজেলায় ১৭৬৭ সালে আবু তোরাবের নেতৃত্বে বাংলার প্রথম কৃষক-বিদ্রোহ এবং ১৯৩০ সালে কংগ্রেস সভাপতি কালী কেশব ঘোষের নেতৃত্বে আইন অমান্য-আন্দোলন সংঘটিত হয়। ১৯৬৬ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান এখান থেকে বাঙালির মুক্তির সনদ ৬ দফার প্রচারণা আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করেন। ১৯৭১ সালে এ উপজেলা ১নং সেক্টরের অধীন ছিল। ১০ মে পাকবাহিনী সন্দ্বীপ শহরে আইনজীবী জাহেদুর রহমানসহ অনেক নিরীহ লোককে গুলি করে হত্যা করে এবং অনেক ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেয় ও লুটপাট করে। ৭ ডিসেম্বর সন্দ্বীপ শত্রুমুক্ত হয়। নামকরণ সন্দ্বীপের নামকরণ নিয়ে বিভিন্ন জনের কাছে বিভিন্ন মতামত শোনা যায়। কারও কারও মতে বারো আউলিয়ারা চট্টগ্রাম যাত্রার সময় এই দ্বীপটি জনমানুষহীন অবস্থায় আবিষ্কার করেন এবং নামকরণ করেন 'শুণ্যদ্বীপ', যা পরবর্তীতে 'সন্দ্বীপে' রুপ নেয়। ইতিহাসবেত্তা বেভারিজের মতে চন্দ্র দেবতা 'সোম' এর নামানুসারে এই এলাকার নাম 'সোম দ্বীপ' হয়েছিল যা পরবর্তীতে 'সন্দ্বীপে' রুপ নেয়। কেউ কেউ দ্বীপের উর্বরতা ও প্রাচুর্যের কারণে দ্বীপটিকে 'স্বর্ণদ্বীপ' আখ্যা প্রদান করেন। উক্ত 'স্বর্ণদ্বীপ' হতে 'সন্দ্বীপ' নামের উৎপত্তি হয়েছে বলেও ধারণা করা হয়। দ্বীপের নামকরণের আরেকটি মত হচ্ছে পাশ্চাত্য ইউরোপীয় জাতিগণ বাংলাদেশে আগমনের সময় দূর থেকে দেখে এই দ্বীপকে বালির স্তুপ বা তাদের ভাষায় 'স্যান্ড-হিপ' (Sand-Heap) নামে অভিহিত করেন এবং তা থেকে বর্তমান 'সন্দ্বীপ' নামের উৎপত্তি হয়। অবস্থান ও সীমানা সন্দ্বীপ বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলে অবস্থিত একটি দ্বীপ। এটি বঙ্গোপসাগরের উত্তর-পূর্বকোণে ২২°১৬´ থেকে ২২°৪৩´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯১°১৭´ থেকে ৯১°৩৭´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ জুড়ে মেঘনা নদীর মোহনায় অবস্থিত। চট্টগ্রাম উপকূল ও সন্দ্বীপের মাঝখানে সন্দ্বীপ চ্যানেল অবস্থিত। চট্টগ্রাম জেলা সদর থেকে নদীপথে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে এ উপজেলার অবস্থান। সন্দ্বীপ থেকে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপকূলের দূরত্ব প্রায় দশ মাইল। নোয়াখালীর মূল ভূখন্ড সন্দ্বীপ থেকে প্রায় ১২ মাইল পশ্চিমে অবস্থিত। সন্দ্বীপের প্রায় বিশ মাইল পশ্চিমে হাতিয়া দ্বীপের অবস্থান। সন্দ্বীপের সীমানা হচ্ছে পূর্বে সন্দ্বীপ চ্যানেল ও চ্যানেলের পূর্ব পাড়ে সীতাকুণ্ড উপজেলা ও মীরসরাই উপজেলা; উত্তরে বামনী নদী; পশ্চিমে মেঘনা নদী, নোয়াখালী জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা, সুবর্ণচর উপজেলা ও হাতিয়া উপজেলা এবং দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর। আয়তন পঞ্চদশ শতাব্দীতে সন্দ্বীপের আয়তন প্রায় ৬৩০ বর্গমাইলের হলেও ক্রমাগত নদী ভাঙনের কারণে বর্তমানে এটি মাত্র ৮০ বর্গমাইলের একটি ক্ষুদ্র দ্বীপে পরিণত হয়েছে। সন্দ্বীপের দৈর্ঘ্য ২৫ মাইল (৪০ কিলোমিটার) ও প্রস্থ ৩-৯ মাইল (৫-১৫ কিলোমিটার)। এই অঞ্চলে মোট আবাদ যোগ্য জমির পরিমাণ ৫৬,৫৩০ একর এবং অনাবাদী জমি ২২,৯১১ একর। মোট বনাঞ্চল ১১,২০০ একর। প্রশাসনিক এলাকা থাম্ব|250px|ছোট জাহাজ ও স্টিমারই সন্দ্বীপ ও অন্যান্য অঞ্চলের মধ্যে যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম ১৮৮০ সালের পূর্ব পর্যন্ত সন্দ্বীপ চট্টগ্রাম জেলার অন্তর্ভুক্ত থাকলেও পরবর্তীতে একে নোয়াখালী জেলার অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ১৯৫৪ সালে আবারও চট্টগ্রাম জেলার অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ১৯৮৪ সালে সন্দ্বীপ থানাকে উপজেলায় রূপান্তর করা হয়। সন্দ্বীপে একটি পৌরসভা রয়েছে, যা ১৯৯৯ সালে প্রতিষ্ঠিত। এ উপজেলায় বর্তমানে ১টি পৌরসভা ও ১৪টি ইউনিয়ন রয়েছে। সম্পূর্ণ সন্দ্বীপ উপজেলার প্রশাসনিক কার্যক্রম সন্দ্বীপ থানার আওতাধীন। পৌরসভা: সন্দ্বীপ পৌরসভা ইউনিয়নসমূহ: ১নং উড়িরচর (উপ-দ্বীপ) ২নং হুদ্রাখালী (বিলুপ্ত) ৩নং গাছুয়া ৪নং সন্তোষপুর ৫নং দীর্ঘাপাড় (বিলুপ্তপ্রায়) ৬নং কালাপানিয়া ৭নং কাটগড় (বিলুপ্ত) ৮নং হরিশপুর ৯নং ইজ্জতপুর (বিলুপ্ত) ১০নং বাউরিয়া ১১নং মুছাপুর ১২নং রহমতপুর ১৩নং আজিমপুর ১৪নং নয়ামস্তি (বিলুপ্ত) ১৫নং মাইটভাঙ্গা ১৬নং সারিকাইত ১৭নং মগধরা ১৮নং হারামিয়া ১৯নং আমানউল্যা ২০নং বাটাজোড়া (বিলুপ্ত) বিলুপ্ত এলাকাসমূহ ১৯৫০ হতে ১৯৬০ সাল পর্যন্ত সন্দ্বীপের ভাঙ্গন অবস্থা মোটামুটি স্থিতিশীল ছিল। তখনও পর্যন্ত নয়ামস্তি, ইজ্জতপুর, বাটাজোড়া, কাটগড়, হুদ্রাখালী ও দীর্ঘাপাড় (বিলুপ্তপ্রায়) ইউনিয়ন পুরাপুরি বিদ্যমান ছিল। ১৯ ইউনিয়নের এই থানা বর্তমানে উড়িরচর বাদে ১৩ ইউনিয়নে এসে দাঁড়িয়েছে। বর্তমানে হরিশপুর, রহমতপুর ও আজিমপুর ইউনিয়ন আকারে একটি গ্রামের চেয়েও ছোট। লোকমুখে শোনা যায়, সন্দ্বীপে ১২টি পুর এর অস্থিত্ব ছিল। বর্তমানে ৫টি পুর বিদ্যমান: হরিশপুর, রহমতপুর, আজিমপুর, সন্তোষপুর, মুছাপুর। যেসব পুর সাগর গর্ভে হারিয়ে গেছে সেগুলো হল: সুধারামপুর, মোহাম্মদপুর, সুলতানপুর, মোক্তারপুর, সৌরভপুর, ইজ্জতপুর ও শফিপুর। সুধারামপুর ও মোহাম্মদপুর যথাক্রমে ইজ্জতপুর ও রুহিনী গ্রামের পশ্চিমে ছিল। সুলতানপুর গ্রাম নয়ামস্তির দক্ষিণে ও সারিকাইতের পশ্চিমে ছিল। মোক্তারপুর গ্রাম রুহিনী গ্রামের উত্তর পশ্চিমে ছিল। প্রিন্সিপাল জিয়াউল হক এর বাড়ি মোহাম্মদপুর গ্রামে ছিল, শফিপুর গ্রাম বাটাজোড়া ও কাঠগড়ের মাঝামাঝি ছিল। গত শতকের পঞ্চাশ ও ষাটের দশকে সন্দ্বীপের আয়তন ২০০ বর্গমাইলের অধিক ছিল। জনসংখ্যার উপাত্ত বিভিন্ন বেসরকারি অনুসন্ধানে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী বর্তমানে এই দ্বীপের মোট জনসংখ্যা প্রায় চার লাখ। ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী এই দ্বীপের জনসংখ্যা ২,৭৮,৬০৫ জন। পুরুষ ১,২৮,৬৫৬ জন ও মহিলা ১,৪৯,৯৪৯ জন। জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ৫৭০ জন। ২০১১ সালের পরিসংখ্যান অনুসারে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার -০.৪৯%। সন্দ্বীপ পৌরসভার আয়তন প্রায় ৩০.০৩ বর্গ কিলোমিটার। জনসংখ্যা প্রায় ৪২,৮৪২ জন। শিক্ষা সন্দ্বীপ উপজেলার সাক্ষরতার হার ৫১.৫০%। এ উপজেলায় ৪টি কলেজ (সহপাঠ), ১টি মহিলা কলেজ, ৩টি ফাজিল মাদ্রাসা, ৯টি দাখিল মাদ্রাসা, ২৮টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ৩টি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, ১টি জুনিয়র উচ্চ বিদ্যালয়, ১৪৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৩১টি আনন্দ স্কুল ও ১৯টি কিন্ডারগার্টেন রয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যোগাযোগ ব্যবস্থা বাংলাদেশের যে কোন অঞ্চল থেকে সন্দ্বীপ উপজেলায় যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম নৌপথ। মোট নৌপথ ২২ নটিক্যাল মাইল। দ্বীপ থেকে মূল ভুখণ্ডে যাতায়াতের জন্য রয়েছে বি.আই.ডব্লিউ.টি সি. এর ২টি স্টীমার ঘাট (যার একটি প্রাকৃতিক পরিবর্তনের কারণে বর্তমানে বন্ধ রয়েছে) এবং ৫টি জেলা পরিষদ ফেরীঘাট। এছাড়াও এ উপজেলার অভ্যন্তরে সড়ক যোগাযোগের জন্য ৭৩ কিলোমিটার পাকারাস্তা, ১৯ কিলোমিটার আধা-পাকারাস্তা ও ৮৬২ কিলোমিটার কাঁচারাস্তা রয়েছে। অর্থনীতি বর্তমান অর্থনীতি প্রধানত কৃষি, মৎস্য চাষ ও আহরণ এবং ফসল ধান থেকে আসে। এছাড়াও মধ্যপ্রাচ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের বিভিন্ন স্থান হতে পাঠানো প্রবাসী রেমিটেন্স। আগেকার দিনে শিল্পের মধ্যে ছিল লবণ উৎপাদন, ধানকল, বরফকল, বিড়ি কারখানা, ছাপাখানা, হোসিয়ারী শিল্প, জাহাজ নির্মাণ শিল্প, তাঁতশিল্প, লৌহশিল্প, মৃৎশিল্প, দারুশিল্প, কাঁসা ও পিতলশিল্প, বাঁশের কাজ, বেতের কাজ ইত্যাদি। প্রধান রপ্তানিদ্রব্য হলোঃ ধান, মাছ, পান, সুপারি, শাকসবজি। পত্র-পত্রিকা ও সাময়িকী সন্দ্বীপ জার্নাল দেশবিদেশ২৪.কম সাপ্তাহিক আলোকিত সন্দ্বীপ দ্বীপের কথা প্রাকৃতিক দুর্যোগ থাম্ব|250px|১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়ে সন্দ্বীপে নিহত কিছু মানুষ সমুদ্রবেষ্টিত দ্বীপ এলাকা হওয়ায় সন্দ্বীপ প্রায়শই ঘূর্ণিঝড়, টর্নেডো, জলোচ্ছ্বাস, ঢল ইত্যাদি প্রাকৃতিক দুর্যোগের মুখোমুখি হয়। এসব প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে সন্দ্বীপে প্রায় প্রতি বছরই ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। শত শত বছর ধরে ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস সন্দ্বীপে আঘাত হেনেছে। মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে বঙ্গোপসাগরে এসকল ঘূর্ণিঝড়ের সৃষ্টি হয়। বিভিন্ন তথ্য প্রমাণ থেকে দেখা যায়- ১৪৮৪, ১৫৮৪, ১৭৭৬, ১৭৯৮, ১৮২২, ১৮২৫, ১৮৩২, ১৮৩৫, ১৮৫৫, ১৮৬৪, ১৮৬৭, ১৮৬৯, ১৮৭০, ১৮৭৬, ১৮৯৩, ১৮৯৫, ১৯০৪, ১৯০৫, ১৯১০, ১৯১৯, ১৯৪০, ১৯৪১, ১৯৫৬, ১৯৫৯, ১৯৬০, ১৯৬৩, ১৯৬৫, ১৯৬৬, ১৯৭০, ১৯৮৫ এবং ১৯৯১ সালে সন্দ্বীপে বড় মাত্রার ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস সৃষ্টি হয়েছে। অসংখ্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের মাঝে ১৮২৫, ১৮৭৬, ১৯৮৫ এবং ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস সন্দ্বীপের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি সাধিত হয়। স্মরণকালের ভয়াবহতম ঘূর্ণিঝড়গুলোর মধ্যে অন্যতম ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়টি ২৯শে এপ্রিল সন্দ্বীপসহ উপকূলীয় অঞ্চলে আঘাত হানে। সন্দ্বীপের ওপর দিয়ে এ ঝড়টি ঘণ্টায় প্রায় ২২৫ কিলোমিটার বেগে আক্রমণ করে। এই ঘূর্ণিঝড়ে সন্দ্বীপের উপকূলীয় অঞ্চলের কমপক্ষে ৬০ হাজার এবং ঝড়ের পড়ে অনাহারে ও মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়া রোগে আরো প্রায় ২০-৩০ হাজার লোক প্রাণ হারায়। উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব আবদুল হক –– বীর বিক্রম খেতাব প্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা। আবদুল হাকিম –– মধ্যযুগের কবি। বেলাল মোহাম্মদ –– স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের প্রধান উদ্যোক্তা। বেলায়েত হোসেন –– বীর উত্তম খেতাব প্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা। মহেশচন্দ্র বড়ুয়া –– ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম ব্যক্তিত্ব। মাহফুজুর রহমান মিতা –– রাজনীতিবিদ। মুজফ্‌ফর আহ্‌মেদ –– রাজনীতিবিদ। মুস্তাফিজুর রহমান –– রাজনীতিবিদ। মোহাম্মেদ দিদারুল আলম –– বীর প্রতীক খেতাব প্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা। মোহিত কামাল –– বাংলাদেশী মনোচিকিৎসক ও লেখক। রোহিণীকুমার কর –– ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম ব্যক্তিত্ব। লালমোহন সেন –– ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম ব্যক্তিত্ব। সংসদীয় আসন সংসদ সদস্যগণের তালিকা উপজেলা পরিষদ ও প্রশাসন উপজেলা চেয়ারম্যানগণের তালিকা গ্যালারি আরও দেখুন চট্টগ্রাম জেলা বাংলাদেশের উপজেলা তথ্যসূত্র সন্দ্বীপ উপজেলা - জাতীয় তথ্য বাতায়ন। সন্দ্বীপ এর উপর নিবন্ধ, বাংলাপিডিয়া মার্কো র‌্যামেরিনি, ভারতে পর্তুগিজদের ইতিহাস, বঙ্গোপসাগরে পর্তুগীজরা সন্দ্বীপের মানচিত্র বহিঃসংযোগ বিষয়শ্রেণী:চট্টগ্রাম জেলার উপজেলা বিষয়শ্রেণী:সন্দ্বীপ উপজেলা বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশের দ্বীপ
সন্দ্বীপ উপজেলা
পঞ্চগড় সদর বাংলাদেশের পঞ্চগড় জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা। অবস্থান এই উপজেলার উত্তরে তেঁতুলিয়া উপজেলা, দক্ষিণে বোদা উপজেলা, পূর্বে ভারতের জলপাইগুড়ি এবং পশ্চিমে আটোয়ারী উপজেলা অবস্থিত। প্রশাসনিক এলাকা পঞ্চগড় সদর উপজেলায় ১টি পৌরসভা, ১৩টি ইউনিয়ন, ১০৮টি মৌজা এবং ১৮৩টি গ্রাম রয়েছে। পৌরসভা পঞ্চগড় পৌরসভা ইউনিয়ন অমরখানা ইউনিয়ন, হাফিজাবাদ ইউনিয়ন, পঞ্চগড় সদর ইউনিয়ন, কামাত কাজলদিঘী ইউনিয়ন, চাকলাহাট ইউনিয়ন, সাতমেরা ইউনিয়ন, হাড়িভাসা ইউনিয়ন, ধাক্কামারা ইউনিয়ন, মাগুরা ইউনিয়ন, গরিনাবাড়ী ইউনিয়ন। ইতিহাস জনসংখ্যার উপাত্ত ২০১১ সালের আদমশুমারী অনুযায়ী পঞ্চগড় সদরের মোট জনসংখ্যা ২,২৯,২৩৭ জন। শিক্ষা উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছেঃ মকবুলার রহমান সরকারি কলেজ, পঞ্চগড় সরকারি মহিলা কলেজ, পঞ্চগড় সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ, পঞ্চগড় সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, বিষ্ণু প্রসাদ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, শহীদ জিয়াউর রহমান ডিগ্রি কলেজ,টুনিরহাট অর্থনীতি নদীসমূহ পঞ্চগড় সদর উপজেলায় প্রায় ৬টি নদী রয়েছে। নদীগুলো হচ্ছে করতোয়া নদী, টাঙ্গন নদী, চাওয়াই নদী, চাউলি নদী, কুড়ুম নদী এবং তালমা নদী। কৃতী ব্যক্তিত্ব ব্যরিস্টার জমির উদ্দিন সরকার (জন্ম: ১ ডিসেম্বর, ১৯৩১) ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সাবেক স্পিকার। বিবিধ আরও দেখুন তথ্যসুত্র বহিঃসংযোগ বিষয়শ্রেণী:পঞ্চগড় জেলার উপজেলা বিষয়শ্রেণী:পঞ্চগড় সদর উপজেলা
পঞ্চগড় সদর উপজেলা
গিম্প (; GNU Image Manipulation Program) ছবি ম্যানিপুলেশন ও সম্পাদনা, ফ্রি-ফর্ম ড্রয়িং, ছবির ফাইল ফরম্যাট পরিবর্তন ও অন্যান্য বিশেষায়িত কিছু কাজের নিমিত্তে নির্মিত ফ্রি ও ওপেন সোর্স র‍্যাস্টার গ্রাফিক্স এডিটর। গিম্প গ্নু জেনারেল পাবলিক লাইসেন্স ৩য় সংস্করণের অধীনে মুক্তি পায় ও লিনাক্স, ম্যাক ওএস এবং মাইক্রোসফট উইন্ডোজে সমর্থন করে। মাস্কট গিম্পের অফিশিয়াল মাস্কটের নাম উইলবার। গিম্পের বাইরে যদিও উইলবারের উপস্থিতি রয়েছে, যেমন সুপারটাক্সকার্টে একজন রেসার, বিবিলিওথক ন্যাশানালে দি ফ্রান্সে ব্লিংকেনলাইটস প্রকল্পের অংশ হিসেবে প্রদর্শনি।টুওমাস কুউওসম্যানেন ২৫ সেপ্টেম্বর ১৯৯৭ সালের দিকে উইলবার সৃষ্টি করেন। center|৫টি সংস্করণে উইলবার তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ গিম্প ম্যাগাজিন বিষয়শ্রেণী:১৯৯৫-এর সফটওয়্যার বিষয়শ্রেণী:মুক্ত বহুভাষী সফটওয়্যার বিষয়শ্রেণী:গ্নু প্রকল্পের সফটওয়্যার বিষয়শ্রেণী:ক্রস-প্ল্যাটফর্ম মুক্ত সফটওয়্যার
গিম্প
ঘটনাবলী ১৩০৭ - আলাউদ্দিন খিলজির সেনাপতি মালিক কাফুর দেবগিরি দুর্গ দখল করেন। ১৩৫১: ফিরোজ শাহ তুঘলক দিল্লির সিংহাসনে আরোহণ করেন। ১৭৯৩: চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত ব্যবস্থা ঘোষিত হয়। ১৮৬১: লন্ডনে প্রথম ট্রাম চলাচল শুরু হয়। ১৯০২ - বাংলায় অনুশীলন সমিতি গঠিত হয়। ১৯১৮ - জার্মান বাহিনী সোমে নদী অতিক্রম করে। ১৯৩৩ - এড্লফ হিটলার জার্মানির একনায়ক হন। ১৯৪০ - শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক উত্থাপিত লাহোর প্রস্তাব মুসলিম লীগের সভায় গৃহীত হয়। ১৯৪৬ - লর্ড লরেঞ্জের নেতৃত্বে ব্রিটিশ কেবিনেট মিশন ভারতে আসে। ১৯৪৮ - ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সমাবর্তনে পাকিস্তানের গভর্নর জেনারেল মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ রাষ্ট্রভাষা উর্দুর পক্ষে ভাষণ দিয়ে ছাত্রদের প্রতিবাদের সম্মুখীন হন। ১৯৫৬ - পাকিস্তানকে ইসলামী প্রজাতন্ত্র ঘোষণা করা হয়। ১৯৭৭ - যুক্তরাষ্ট্র এবং কিউবা সরাসরি আলোচনা শুরু করে। ১৯৮২ - জেনারেল হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ একটি রক্তপাতহীন অভ্যুত্থানের মাধ্যমে জনগণের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আবদুস সাত্তারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করেন। ১৯৯৯ - ন্যাটো যুগোশ্লাভিয়ার সার্বিয় সেনা অবস্থানের উপর বোমা বর্ষণ শুরু করে। জন্ম ১৪৯৪ - জার্মান মণিকবিৎ ও পণ্ডিত গেওরগিউস আগ্রিকলা জন্মগ্রহণ করেন। ১৬৯৩ - ইংরেজ সূত্রধর ও ঘড়ি-নির্মাতা জন হ্যারিসন জন্মগ্রহণ করেন। ১৮০৯ - ফরাসি গণিতবিদ ও শিক্ষাবিদ জোসেফ লিওউভিলে জন্মগ্রহণ করেন। ১৮৩৪ - উইলিয়াম মরিস, ইংরেজ টেক্সটাইল ডিজাইনার, কবি, উপন্যাসিক, অনুবাদক এবং সমাজতান্ত্রিক কর্মী। ১৮৩৫ - অস্ট্রীয় পদার্থবিজ্ঞানী, গণিতবিদ ও কবি জোসেফ স্টিফান জন্মগ্রহণ করেন। ১৮৪১ - নবাব ওয়াকার-উল-মুলক মৌলভী, নিখিল ভারত মুসলিম লীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক। ১৮৬৩ - খ্যাতনামা আইনবিদ লর্ড সত্যপ্রসন্ন সিনহা জন্মগ্রহণ করেন। ১৮৭৪ - বিশ্বের অন্যতম সেরা জাদুকর হ্যারি হুডিনি জন্মগ্রহণ করেন। ১৮৮৪ - নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ডাচ বংশোদ্ভূত আমেরিকান পদার্থবিদ ও রসায়নবিদ পিটার জোসেফ উইলিয়াম ডিবাই জন্মগ্রহণ করেন। ১৯০৩ - নোবেল পুরস্কার বিজয়ী জার্মান রসায়নবিদ আডল্ফ ফ্রিড্রিশ ইয়োহান বুটেনান্ডট জন্মগ্রহণ করেন। ১৯১৭ - নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ইংরেজ প্রাণরসায়নী জন কেন্ড্রেও জন্মগ্রহণ করেন। ১৯২৫ - কাজী নূরুজ্জামান, বীর উত্তম খেতাবপ্রাপ্ত বাংলাদেশী মুক্তিযোদ্ধা, সেক্টর কমান্ডার। ১৯২৬ - নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ইতালিয়ান অভিনেতা, পরিচালক, সুরকার ও নাট্যকার ডারিও ফো জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৩০ - আমেরিকান অভিনেতা স্টিভ ম্যাকুইন জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৪৪ - সার্বীয় শিক্ষাবিদ, রাজনীতিবিদ ও ৪র্থ প্রধানমন্ত্রী ভজিস্লাভ কস্টুনিকা জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৪৯ - শ্রীলংকান আইনজীবী, রাজনীতিবিদ ও ১৩ তম প্রধানমন্ত্রী রনীল শ্রীয়ান বিক্রমাসিংহে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬০ - জার্মান গায়ক, গীতিকার এবং অভিনেত্রী নেনা জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬১ - ডিন জোন্স, ইংরেজ সাবেক ক্রিকেটার। ১৯৬৫ - দ্য আন্ডারটেকার, মার্কিন পেশাদার কুস্তীগির। ১৯৭৩ - আমেরিকান অভিনেতা ও গায়ক জিম পারসন্স জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭৭ - জেসিকা চ্যাস্টেইন, মার্কিন অভিনেত্রী ও চলচ্চিত্র প্রযোজক। ১৯৭৯ - গ্রেম সোয়ান, ইংরেজ সাবেক ক্রিকেটার। ১৯৮৭ - সাকিব আল-হাসান, বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের অল-রাউন্ডার। ১৯৮৭ - ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার রামিরেস জন্মগ্রহণ করেন। মৃত্যু ০৮০৯ - আরব পঞ্চম খলিফা হারুন আল-রশিদ মৃত্যুবরণ করেন। ১৬০৩ - প্রথম এলিজাবেথ, ইংল্যান্ডের রানী। ১৭৭০ - আশরাফ আলি খান (নবাব) ১৭৭৬ - ইংরেজ সূত্রধর ও ঘড়ি-নির্মাতা জন হ্যারিসন মৃত্যুবরণ করেন । ১৮৮২ - একজন মার্কিন হেনরি ওয়েডসওরর্থ লংফেলো মৃত্যুবরণ করেন । ১৮৯৯ - বিলি বার্নস, পেশাদার ইংরেজ ক্রিকেটার। ১৯০৪ - একজন ইংরেজ কবি এডউইন আর্নল্ড মৃত্যুবরণ করেন । ১৯০৫ - জুল ভার্ন, ফরাসি লেখক। ১৯৪৬ - রাশিয়ান দাবাড়ু আলেকসান্দর আলেখিন মৃত্যুবরণ করেন। ১৯৫০ - ব্রিটিশ রাষ্ট্রবিজ্ঞানী হ্যারল্ড ল্যাস্কির মৃত্যুবরণ করেন। ১৯৭১ - রেডিসন ব্লু রয়েল হোটেল ও আর্ফস সিটি হলের পরিকল্পক আর্নি জাকবসেন মৃত্যুবরণ করেন। ২০০২ - নোবেল পুরস্কার বিজয়ী আর্জেন্টিনার প্রাণরসায়নী সিজার মিলস্টেইন মৃত্যুবরণ করেন। ২০০৫ - ভি বালসারা ভারতীয় সঙ্গীতপরিচালক,আবহসঙ্গীতপরিচালক ও যন্ত্র সঙ্গীত শিল্পী। ২০১০ - রন হামেন্স, অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার। ২০১৩ - নিউজিল্যান্ড লেখক বারবারা অ্যান্ডারসন মৃত্যুবরণ করেন। ২০২০ - বাংলাদেশের সবচেয়ে ব্যবসা সফল ছবি ‘বেদের মেয়ে জোসনা’র অন্যতম প্রযোজক, প্রখ্যাত নির্মাতা মতিউর রহমান পানু। ছুটি ও অন্যান্য বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস৷ বিশ্ব আবহাওয়া দিবস। বহিঃসংযোগ বিবিসি: এই দিনে নিউইয়র্ক টাইমস'': এই দিনে বিষয়শ্রেণী:গ্রেগরীয় পঞ্জিকার দিন বিষয়শ্রেণী:মার্চ বিষয়শ্রেণী:অসম্পূর্ণ দিনতারিখ
২৪ মার্চ
ফেঞ্চুগঞ্জ বাংলাদেশের সিলেট জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা। ফেঞ্চুগঞ্জ বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ হাওর হাকালুকি ও কুশিয়ারা নদীর তীরে অবস্থিত। ফেঞ্চুগঞ্জ থানা ১৯০৭ সালে গঠিত হয় এবং ১৯৮০ সালে উপজেলা হয়। ভৌগলিক অবস্থান পূর্বে – গোলাপগঞ্জ উপজেলা ও মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলা, পশ্চিমে – সিলেট জেলার বালাগঞ্জ উপজেলা, উত্তরে – দক্ষিণ সুরমা উপজেলা ও গোলাপগঞ্জ উপজেলা, দক্ষিণে – মৌলভীবাজার জেলার রাজনগর উপজেলা ও কুলাউড়া উপজেলা। প্রশাসনিক এলাকা ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলায় বর্তমানে ৫টি ইউনিয়ন রয়েছে। সম্পূর্ণ উপজেলার প্রশাসনিক কার্যক্রম ফেঞ্চুগঞ্জ থানার আওতাধীন। ইউনিয়নসমূহ: ১নং ফেঞ্চুগঞ্জ ২নং মাইজগাঁও ৩নং ঘিলাছড়া ৪নং উত্তর কুশিয়ারা ৫নং উত্তর ফেঞ্চুগঞ্জ এ উপজেলায় ৩০টি মৌজা এবং ১১৪টি গ্রাম রয়েছে। ইতিহাস নামকরণ দেলোয়ার হোসেন চৌধুরী কর্তৃক প্রণীত ফেঞ্চুগঞ্জ অঞ্চলের গৌরবময় পুরাতত্ত্ব বিষয়ক পুস্তিকার উদ্বৃতি অনুযায়ী জানা যায় পূর্বকালে পরগণার বাজার , পিটাইটিকর ও কুশিয়ারা নদীর দক্ষিণ পাড়ের মধ্যবর্তী বর্তমান ছুরপান আলীর বাড়ির পার্শ্বে ছিল। তখন স্টিমার পথ বা রেল পথ ছিলনা। বর্ষাকালে চতুর্দিকে পানি থাকত। এছাড়াও নানাবিধ কারণে পরগণাবাসী বাজার স্থানান্তরের প্রয়োজন অনুভব করেন। তখন ফেঞ্চুগঞ্জের বর্তমান পূর্ববাজারের স্থান নির্ধারণ করা হয়। তৎকালীণ সময়ে ঐ স্থানের মালিকগণ পরগণাবাসীকে বাজারের জন্য বার আনা মালিকি স্বত্ত্ব দান করেন। ইন্দানগর পরগণার ফরিদপুর মৌজায় ব্রাহ্মণবাড়ী সংলগ্ন দক্ষিণে যে ছাড়া বাড়ী আছে ঐ বাড়ীর বসিন্দা ফেচুঁরাম বৈদ্য নামক এক ব্যক্তির একটি মাত্র দোকান ঐ স্থানে পূর্বে থেকে চালু ছিল। ঐ ফেঁচুরাম এর নাম অনুসারে উক্ত স্থানের নাম লোকজনের অজ্ঞাতসারে ফেঁচুগঞ্জ নাম পরিচিত হতে থাকে। পরবর্তীতে ফেচুগঞ্জকে ফেঞ্চুগঞ্জ নামকরণ করা হয়। এছাড়াও এলাকার বিভিন্ন জনশ্রুতি রয়েছে। নুরপুর গ্রামের প্রবীণ সালিশি বিচারক ও বিশিষ্ট সমাজসেবক জনাব মোঃ নোমান মিয়া-এর মতে, সেগুলোর মধ্যে অন্যতম দুটি হচ্ছে (১)বর্তমান উপজেলার ভূমি অফিসের আশপাশে কোন এক স্থানে জেলে, কৃষকদের নিত্য প্রয়োজনীয় তামাক, চিড়া, গুড়,মুড়ি ইত্যাদির পশরা নিয়ে ফেঁচু নামের এক ব্যক্তির ঝুপড়ি ঘরের মত এক দোকান ছিল। ঐ দোকানদার ব্যক্তির নামানুসারে ফেঁচুগঞ্জ, যা পরবর্তীতে ফেঞ্চুগঞ্জ নামকরণ করা হয়।(২) অপর জনশ্রুতি হচ্ছে হযরত শাহ মালুম (র) এর মাজারের একজন খাদেম ছিলেন পেঁচু শাহ বা ফেঁচুই শাহ। তিনি প্রতিদিনি বিকাল বেলা কুশিয়ারা নদীর ঘাটে এসে বসতেন। পরে এখানে দোকানপাট গড়ে উঠলে এর নাম ফেঁচুগঞ্জ রাখা হয়। পরবর্তী সময়ে ফেঁচুগঞ্জ এর নাম সংশোধন করে ফেঞ্চুগঞ্জ রাখা হয়। বর্তমান উপজেলার ইতিহাস ব্রিটিশ শাসিত ভারত এর অন্যতম জাহাজ কোম্পানী IGN of R.S.N (Indian General Navigation of River System Navigation Co LTD) এর জাহাজ মেরামত কেন্দ্র ছিল কুশিয়ারা তীরবর্তী ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা। ১৯২২ সালের ১০ জানুয়ারি তিনটি ইউনিয়ন নিয়ে ফেঞ্চুগঞ্জ একটি থানা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। পরবর্তীতে ১৯৮৩ সালের ২ জুলাই বাংলাদেশের অন্যান্য থানার সাথে এক প্রশাসনিক আদেশে ইহা উপজেলায় রূপান্তরিত হয়। বর্তমানে এ উপজেলায় নতুন দুইটি ইউনিয়ন সহ মোট পাঁচটি ইউনিয়ন রয়েছে। ব্রিটিশ শাসিত ভারতের অন্যতম জাহাজ কোম্পানী IGN of R.S.N ( Indian General Navigation of River system Navigation Co LTD) এর জাহাজ মেরামত কেন্দ্র ছিল কুশিয়ারা তীরবর্তী ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা।উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বর্তমান কার্যালয়টি ছিল মেরামত কোম্পানীর এজেন্ট এর বাংলো। বর্তমান উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বাসভবনটি ছিল জাহাজ কোম্পনীর ইঞ্জিনিয়ার সাহেবের বাসা। কালের বিবর্তনে জাহাজ কোম্পানীর বাংলো উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে রূপান্তরিত হয়েছে। এ কার্যালয় ও উপজেলা নির্বাহী অফিসরের বাসাকে কেন্দ্র করে এলাকার প্রবীণ ব্যক্তিদের নিকট অনেক গল্প প্রচলিত আছে। অনেকে এ কার্যালয়কে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর অফিস” হিসেবে অবিহিত করত। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের অফিস ভবনটি বর্তমানে ব্যবহার উপযোগী হলেও প্রশাসনিক ঐতিহ্য হিসেবে একে সংরক্ষণ করা একান্ত অপরির্হায যাতে করে পরবর্তী প্রজন্মও আমাদের অতীত ইতিহাসের নিদর্শন প্রত্যক্ষ করতে পারে। জনসংখ্যার উপাত্ত ফেঞ্ছুগঞ্জের জনসংখ্যা ১,৩৮,৮৮১জন। তার মধ্যে ৭০,৪৪৯ জন এবং মহিলা ৬৮,৪৩২ জন। শিক্ষা ফেঞ্চুগঞ্জের সাক্ষরতার হার ৫৩.৪৫%। পুরুষদের স্বাক্ষরতার ৫৮.২৫% এবং মহিলাদের সাক্ষরতার হার ৪৮.৭৫%। উল্লেখযোগ্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মাদ্রাসা ফেঞ্চুগঞ্জ মোহাম্মদিয়া কামিল মাদরাসা (১৯৭১)।** অর্থনীতি ফেঞ্চুগঞ্জে দুটি সরকারী সার কারখানা অবস্থিত। সেগুলো হলো- ১. ন্যাচারাল গ্যাস ফার্টিলাইজার ফ্যাক্টরি লিঃ (ফেঞ্চুগঞ্জ সার কারখানা) এটি এশিয়ার প্রথম সার কারখানা। ২. শাহজালাল ফার্টিলাইজার ফ্যাক্টরি লিঃ। এটি বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ সার কারখানা। তাছাড়াও ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা বিদ্যুৎ উৎপাদনে বাংলাদেশের মডেল হিসেবেও পরিচিত। ফেঞ্চুগঞ্জে ৫ টি সরকারি ও বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র রয়েছে। সেগুলো হলো- ১. ৯০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র (ফেঞ্চুগঞ্জ কম্বাইন্ড সাইকল গ্যাস) এটি বর্তমানে ১৮০ মেগাওয়াটে উন্নীত করা হয়েছে ২. বারাকাতুল্লাহ ইলেক্ট্র ডায়নামিক লিঃ ৫১ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন। ৩.এনার্জি প্রিমা লিঃ যা ৫০ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন। ৪. লিভার্টি পাওয়ার ইউ.এস (নির্মাণাধীন) ৫.কুশিয়ারা পাওয়ার প্লান্ট লিঃ (নির্মাণাধীন) ৬. বিল্ড আপ অপরা লিঃ (নির্মাণাধীন)। এছাড়া, এখানে ২ টি চা বাগান আছে। বিবিধ আরও দেখুন সিলেট জেলা; সিলেট বিভাগ; বাংলাদেশের উপজেলাসমূহ। তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ বিষয়শ্রেণী:ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা বিষয়শ্রেণী:সিলেট জেলার উপজেলা বিষয়শ্রেণী:সিলেট বিভাগের উপজেলা
ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা
thumb|300px|শান্তিনিকেতন আম্রকুঞ্জে সস্ত্রীক মহাত্মা গান্ধীর সঙ্গে রবীন্দ্রনাথ, ১৯৪০ thumb|300px|শান্তিনিকেতনে বসন্তোৎসবে বাউল সমাবেশ thumb|300px|পৌষমেলা বাজার শান্তিনিকেতন পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার বোলপুর শহরের নিকট অবস্থিত একটি আশ্রম ও শিক্ষাকেন্দ্র। ১৮৬৩ খ্রিষ্টাব্দে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পিতা মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর নিভৃতে ঈশ্বরচিন্তা ও ধর্মালোচনার উদ্দেশ্যে বোলপুর শহরের উত্তর-পশ্চিমাংশে এই আশ্রম প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯০১ সালে রবীন্দ্রনাথ শান্তিনিকেতনে ব্রহ্মবিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন, যা কালক্রমে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের রূপ নেয়। ১৯১৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর বিশ্বভারতীর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ। এরপর ১৯২১ সালের ২৩ ডিসেম্বর, (১৩২৮ বঙ্গাব্দের ৮ পৌষ) রবীন্দ্রনাথের উপস্থিতিতে আচার্য ব্রজেন্দ্রনাথ শীল বিশ্বভারতীর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন এখানে। রবীন্দ্রনাথ তার জীবনের দ্বিতীয়ার্ধের অধিকাংশ সময় শান্তিনিকেতন আশ্রমে অতিবাহিত করেছিলেন। তার সাহিত্য ও সৃষ্টিকর্মে এই আশ্রম ও আশ্রম-সংলগ্ন প্রাকৃতিক পরিবেশের উপস্থিতি সমুজ্জ্বল। শান্তিনিকেতন চত্বরে নিজের ও অন্যান্য আশ্রমিকদের বসবাসের জন্য রবীন্দ্রনাথ অনিন্দ্য স্থাপত্যসৌকর্যমণ্ডিত একাধিক ভবন নির্মাণ করিয়েছিলেন। পরবর্তীকালে আশ্রমনিবাসী বিভিন্ন শিল্পী ও ভাস্করের সৃষ্টিকর্মে সজ্জিত হয়ে এই আশ্রম একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যটনস্থল হয়ে ওঠে। ১৯৫১ সালে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় ভারতের কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা লাভ করে। thumb|200px|মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর (১৮১৭ - ১৯০৫) - শান্তিনিকেতনের প্রতিষ্ঠাতা বিশ্বভারতী বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় দ্রষ্টব্য স্থল শান্তিনিকেতন ভবন শান্তিনিকেতন ভবন আশ্রমের সবচেয়ে পুরনো বাড়ি। মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৮৬৪ সালে এই বাড়িটি তৈরি করিয়েছিলেন। বাড়িটি দালান বাড়ি। প্রথমে একতলা বাড়ি ছিল। পরে দোতলা হয়। বাড়ির উপরিভাগে খোদাই করা আছে সত্যাত্ম প্রাণারামং মন আনন্দং মহর্ষির প্রিয় উপনিষদের এই উক্তিটি। তিনি নিজে বাড়ির একতলায় ধ্যানে বসতেন। তার অনুগামীরাও এখানে এসে থেকেছেন। কৈশোরে বাবার সঙ্গে হিমালয়ে যাওয়ার পথে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এখানে কিছুদিন বাস করেন। ব্রহ্মচর্য বিদ্যালয় স্থাপনের সময়ও রবীন্দ্রনাথ কিছুকাল সপরিবারে এই বাড়িতে বাস করেন। পরে আর কখনও তিনি এটিকে বসতবাড়ি হিসেবে ব্যবহার করেননি। এখন বাড়িটির সামনে রামকিঙ্কর বেইজ নির্মিত একটি বিমূর্ত ভাস্কর্য রয়েছে। শান্তিনিকেতন ভবনের অদূরে একটি টিলার আকারের মাটির ঢিবি আছে। মহর্ষি এখান থেকে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দেখতেন। একসময় এই টিলার নিচে একটি পুকুরও ছিল। উপাসনা মন্দির উপাসনা গৃহ বা ব্রাহ্ম মন্দির। ১৮৯২ সালে এই মন্দিরের উদ্বোধন হয়। এই মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের জ্যেষ্ঠ পুত্র দিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর তখন থেকেই ব্রাহ্ম সমাজের প্রতিষ্ঠা দিবস হিসাবে প্রতি বুধবার সকালে উপাসনা হয়। মন্দির গৃহটি রঙ্গিনকাঁচ দিয়ে নান্দনিক নকশায় নির্মিত। আর তাই এস্থানিয় লোকজনের কাছে এটা কাচের মন্দির নামেও পরিচিত। ছাতিমতলা মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর যখন রায়পুরের জমিদারবাড়িতে নিমন্ত্রন রক্ষা করতে আসছিলেন তখন এই ছাতিমতলায় কিছুক্ষণ এর জন্য বিশ্রাম করেন এবং এখানে তিনি তার “প্রাণের আরাম, মনের আনন্দ ও আত্মার শান্তি” পেয়েছিলেন। তখন রায়পুরের জমিদারের কাছ থেকে ষোলো আনার বিনিময়ে ২০বিঘা জমি পাট্টা নেন। বর্তমানে ৭ই পৌষ সকাল ৭.৩০ ঘটিকায় এখানে উপাসনা হয়। কিন্তু সেকালের সেই ছাতিম গাছ দুটি মরে গেছে। তারপর ঐ জায়গায় দুটি ছাতিম গাছ রোপণ করা হয়। সেই ছাতিম তলা বর্তমানে ঘেরা আছে সেখানে সাধারনের প্রবেশ নিশেধ। দক্ষিণ দিকের গেটে “তিনি আমার প্রাণের আরাম, মনের আনন্দ ও আত্মার শান্তি” এই কথাটি লেখা আছে। তালধ্বজ "তালধ্বজ" শান্তিনিকেতন, বোলপুর, বীড়ভূম। অনন্য সুন্দর গোলাকৃতির এই মাটির বাড়িটি শান্তিনিকেতন আশ্রমের সৌন্দর্যকে এক অন্য মাত্রা প্রদান করেছে। একটি তালগাছকে কেন্দ্র করে অপূর্ব পরিকল্পনায় এই বাড়িটি নির্মিত। তালগাছের পাতাগুলি 'ধ্বজা'র মত করে বাড়িটির উপরে শোভিত বলেই এর নাম "তালধ্বজ"। তেজশচন্দ্র সেন নামক এক বৃক্ষপ্রেমী এটির নির্মাতা॥ তিনপাহাড় দেহলী নতুন বাড়ি শালবীথি আম্রকুঞ্জ আম্রকুঞ্জ মহারাজা মহতাব চাঁদ তার মালি রামদাস কে পাঠিয়ে এই বাগানের পত্তন ঘটান /রবীন্দ্রনাথ নোবেল পুরস্কার পাওয়ার পর তাকে এখানেই সংবর্ধিত করা হয় /তার বহু জন্মোত্সবও এখানেই পালিত হয়েছে /পাঠভবনের নিয়মিত ক্লাস হয় এখানে / বিশ্বভারতীর সমাবর্তনের অনুষ্ঠানও একসময় নিয়মিতভাবে এখানেই হত/এক কালে বসন্ত উত্সবও এখানেই অনুষ্ঠিত হয়/ সন্তোষালয় ঘণ্টাতলা শমীন্দ্র পাঠাগার ১৯০৭ সালের ১৭ই ফেব্রুয়ারি, বসন্তপঞ্চমীতে কবির কনিষ্ঠ পুত্র শমীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উদ্যোগে, এখানেই ঋতুরঙ্গ নামে ঋতু উৎসবের সূচনা হয় যা 1930 এর দশকে কবির উদ্যোগে বসন্ত উৎসবে পরিণত হয়। শমী ঠাকুরের স্মৃতিতেই ভবনের নাম দেয়া হয় শমীন্দ্র পাঠাগার। গৌরপ্রাঙ্গণ সিংহসদন পূর্ব ও পশ্চিম তোরণ চৈত্য দিনান্তিকা দ্বিজবিরাম কালোবাড়ি উত্তরায়ণ প্রাঙ্গণ শিল্পকীর্তি thumb|200px|রামকিঙ্কর বেইজ নির্মিত রবীন্দ্র-ভাস্কর্য, শান্তিনিকেতন নন্দলাল বসুর শিল্পকর্ম বিনোদবিহারী মুখোপাধ্যায়-অঙ্কিত ভিত্তিচিত্র রামকিঙ্কর বেইজের ভাস্কর্য অন্যান্য শিল্পকর্ম == শ্রীনিকে তন == উৎসব-অনুষ্ঠান নববর্ষ ও রবীন্দ্র জন্মোৎসব ধর্মচক্র প্রবর্তন গান্ধী পুণ্যাহ রবীন্দ্র সপ্তাহ, বৃক্ষরোপণ ও হলকর্ষণ উৎসব স্বাধীনতা দিবস বর্ষামঙ্গল শিল্পোৎসব রাখীবন্ধন শারদোৎসব খ্রিষ্টোৎসব মহর্ষি স্মরণ পৌষ উৎসব মূল নিবন্ধ: পৌষমেলা পৌষমেলা বা পৌষ উৎসব হল শান্তিনিকেতন-শ্রীনিকেতন অঞ্চলের প্রধান উৎসব। দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের ব্রাহ্মধর্মে দীক্ষাগ্রহণ স্মরণে এই উৎসব পালিত হয়। উৎসব ও মেলা শুরু হয় প্রতি বছর ৭ পৌষ; চলে তিন দিন ধরে। বসন্তোৎসব শান্তিনিকেতনে সুশৃঙ্খল আনন্দগান ও নাচের অনুষ্ঠান। সকালে সবাই গাইছে , ‘‘ওরে গৃহবাসী, খোল দ্বার খোল, লাগল যে দোল ...।’’ ধর্মের ছুঁতমার্গ, সামাজিক বিধিনিষেধ বা লোকাচারের বাড়াবাড়ি— এর কিছুই আসতে পারেনি রবীন্দ্রনাথের শান্তিনিকেতনে, শান্তিনিকেতনের বসন্তোৎসবে। এই উৎসব এখনও আন্তরিক, এখনও অমলিন আনন্দের উৎস। ১৯০৭ সালের ১৭ই ফেব্রুয়ারি, বসন্তপঞ্চমীতে, শমীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উদ্যোগে, যে ঋতু উৎসবের সূচনা হয়, তারই পরিবর্তিত ও পরিমার্জিত রূপ শান্তিনিকেতনের আজকের এই বসন্ত উৎসব বা বসন্তোৎসব। সরস্বতীর পূজার দিন শুরু হলেও পরবর্তী কালে সে অনুষ্ঠান বিভিন্ন বছর ভিন্ন ভিন্ন তারিখ ও তিথিতে হয়েছে। শান্তিনিকেতনের প্রাণপুরুষ রবীন্দ্রনাথের বিদেশযাত্রা বা অন্য আরও দিক মাথায় রেখে কোনও এক নির্দিষ্ট দিনে আশ্রমবাসী মিলিত হতেন বসন্তের আনন্দ অনুষ্ঠানে। শ্রীনিকেতনের বার্ষিক উৎসব দীনবন্ধু অ্যান্ড্রুজ স্মরণ বর্ষশেষ অন্যান্য উৎসব যোগাযোগ শান্তিনিকেতন যেতে রেলপথ ও সড়কপথ একমাত্র মাধ্যম। রেলপথে এখানে ২টি রেলস্টেশন রয়েছে। দক্ষিণভাগে বোলপুর শান্তিনিকেতন রেলওয়ে স্টেশন ও উত্তরভাগে প্রান্তিক। দুটি স্টেশন থেকে বিশ্ববিদ্যালয় সম দূরত্বে অবস্থিত। বোলপুর তুলনামূলক ব্যাস্ততম স্টেশন। শান্তিনিকেতন এক্সপ্রেস প্রতিদিন হাওড়া ১২ নং প্লাটফর্ম থেকে ১০:১০ এ ছাড়ে। বোলপুর পৌঁছায় ১২:৩০ এ। ঐদিন বোলপুর থেকে দুপুর ১:১০ এ ছাড়ে। হাওড়া বিকেল ৩:৪০ এ পৌঁছায়। বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর (১৮১৭ - ১৯০৫) – ব্রাহ্ম শীর্ষনেতা ও জমিদার। ১৮৬৩ সালে শান্তিনিকেতনের গোড়াপত্তন করেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (১৮৬১ – ১৯৪১) – দিকপাল বাঙালি কবি, সাহিত্যিক, সংগীতস্রষ্টা ও দার্শনিক। ১৯০১ সালে শান্তিনিকেতন ব্রহ্মবিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন, কালক্রমে যা বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের রূপ ধারণ করে। অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর (১৮৭১ - ১৯৫১) - প্রবাদপ্রতিম চিত্রকর ও ভাস্কর। বিশ্বভারতীর প্রাক্তন উপাধ্যক্ষ। ব্রহ্মবান্ধব উপাধ্যায় – ধর্মতত্ত্ববিদ, ব্রহ্মবিদ্যালয়ের স্বল্পকালীন শিক্ষক। জগদানন্দ রায় – বিশ্বভারতীর গণিত ও বিজ্ঞান শিক্ষক। বিধুশেখর শাস্ত্রী – সংস্কৃত পণ্ডিত, বিশ্বভারতীর বিশিষ্ট গবেষক। হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় – বঙ্গীয় শব্দকোষ গ্রন্থের প্রণেতা, শান্তিনিকেতনে বাংলা ও সংস্কৃতের শিক্ষক। ক্ষিতিমোহন সেন – বিশিষ্ট ভারততত্ত্ববিদ। রবীন্দ্রনাথের নির্দেশে একাধিক ভারতীয় ভাষা শিক্ষা করে বাংলা ও ভারতের লোকসাহিত্যের নানা নিদর্শন পুনরুদ্ধার করেন। শিল্পাচার্য নন্দলাল বসু (১৮৮২ - ১৯৬৬) – বিশিষ্ট চিত্রকর ও ভাস্কর। শান্তিনিকেতনের অলংকরণে তার বিশেষ ভূমিকা ছিল। সুরেন্দ্রনাথ কর – বিশিষ্ট চিত্রকর। শান্তিনিকেতনের অঙ্কন শিক্ষক। শান্তিনিকেতনে রবীন্দ্রনাথের কয়েকটি বাড়ির নকশা অঙ্কন করেছিলেন। রথীন্দ্রনাথ ঠাকুর – রবীন্দ্রনাথের জ্যৈষ্ঠ পুত্র। বিশিষ্ট স্থপতি ও কৃষিবিজ্ঞানী। রবীন্দ্র-কীর্তি সংরক্ষণে বিশেষ ভূমিকা গ্রহণ করেছিলেন। প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায় – বিশ্বভারতীর অধ্যাপক। রবীন্দ্রনাথের প্রথম প্রামাণ্য জীবনীগ্রন্থ রবীন্দ্রজীবনী–র রচয়িতা। রচনা করেছেন রবীন্দ্রনাথ বিষয়ক আরও অনেক গ্রন্থও। আরও দেখুন উপমহাদেশের সাহিত্যতীর্থ – শান্তিনিকেতন পাদটীকা তথ্যসূত্র রবীন্দ্রজীবনকথা; প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়; আনন্দ পাবলিশার্স, কলকাতা; অগ্রহায়ণ, ১৩৮৮ শান্তিনিকেতন ও শ্রীনিকেতন:সংক্ষিপ্ত পরিচয়; অনাথনাথ দাস; আনন্দ পাবলিশার্স, কলকাতা; ১৯৮৮ শান্তিনিকেতন ও শ্রীনিকেতন পরিচয়; কমলাপ্রসন্ন চট্টোপাধ্যায়; প্রকাশক – সুতপা মুখোপাধ্যায়, গুরুপল্লী (দক্ষিণ), শান্তিনিকেতন; পরিবেশক – সুবর্ণরেখা, শান্তিনিকেতন, ১৪১৩ বঙ্গাব্দ বহিঃসংযোগ শিল্পকলা ও শান্তিনিকেতন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়: প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রাতিষ্ঠানিক শান্তিনিকেতন ওয়েবসাইট শান্তিনিকেতনের প্রতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট শান্তিনিকেতনের ছবি বিষয়শ্রেণী:পশ্চিমবঙ্গের শহর বিষয়শ্রেণী:বীরভূম জেলার শহর বিষয়শ্রেণী:পশ্চিমবঙ্গের পর্যটনকেন্দ্র
শান্তিনিকেতন
জন ল্যাংশ অস্টিন (ইংরেজি: John Langshaw Austin; মার্চ ২৮, ১৯১১ – ফেব্রুয়ারি ৮, ১৯৬০) ছিলেন ব্রিটিশ ভাষার দার্শনিক। উক্তি কর্ম বিষয়ে বর্তমান তত্ত্বের বেশির ভাগ অংশ তিনিই রচনা করেন। তিনি এরিস্টটেলিয়ান সোসাইটির সভাপতি ছিলেন। জীবনী অস্টিন ১৯১১ সালের ২৬ মার্চ ইংল্যান্ডের ল্যাঙ্কাশায়ারের ল্যাঙ্কাস্টারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা জিওফ্রে ল্যাংশ অস্টিন (১৮৮৪-১৯৭১) ছিলেন একজন স্থপতি এবং মাতা মেরি হাটন বাউয়েস-উইলসন (১৮৮৩-১৯৪৮)। জন তাদের দ্বিতীয় পুত্র। ১৯২১ সালে তাদের পরিবার স্কটল্যান্ডে চলে যায়। সেখানে জনের বাবা সেন্ট অ্যান্ড্রুসের সেন্ট লিওনার্ডস স্কুলের সচিব হিসেবে নিযুক্ত হন। জন ১৯২৪ সালে শ্রিউসবারি স্কুলে ভর্তি হন এবং সেখান থেকে ক্লাসিকস-এ বৃত্তি লাভ করে ১৯২৯ সালে ক্লাসিকস বিষয়ে বেলিয়ল কলেজ, অক্সফোর্ডে পড়তে যান। ১৯৩৩ সালে তিনি লিটারে হিউম্যানিওরেস (ক্লাসিকস ও দর্শন) বিষয়ে প্রথম স্থান অধিকার করে এবং গ্রিক পদ্যের জন্য গেইসফোর্ড পুরস্কার লাভ করেন এবং প্রথম শ্রেণীতে সম্মান অর্জন করেন। লিটারে হিউম্যানিওরেস তাকে গভীর দর্শনের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয় এবং এরিস্টটল সম্পর্কে আগ্রহ সৃষ্টি করে। এরিস্টটল ছাড়া তিনি ইমানুয়েল কান্ট, গট‌ফ্রিড লাইব‌নিৎস ও প্লেটো (বিশেষ করে থিয়েটিটাস) সম্পর্কেও আগ্রহ জন্মে। তার সমসাময়িকদের মধ্যে জর্জ এডওয়ার্ড ম্যুর, জন কুক উইলসন ও হ্যারল্ড আর্থার প্রিচার্ড তাকে প্রভাবিত করে। ইহা প্রতীয়মান হয় যে জন অস্টিনের দর্শন বিষয়ক কিছু প্রশ্ন এই তিনজনের সাথে সংস্পর্শে আসার ফলশ্রুতিতে গৃহীত হয়েছে। অস্টিন ১৯৩৫ সালে প্রথম অধ্যাপনা পেশায় জড়িত হন ম্যাগডালেন কলেজ, অক্সফোর্ডের ফেলো ও টিউটর হিসেবে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন তিনি ব্রিটিশ ইনটেলিজেন্স কর্পসের হয়ে কাজ করেছেন। ওয়ারনক ১৯৬৩: ৯ এ এক প্রতিবেদনে বলা হয় তিনি নিখুঁতভাবে ডি-ডেতে জীবন বাঁচানোর সবচেয়ে বেশি ভূমিকা পালন করেন। অস্টিন লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদসহ সেনাবাহিনীর পদ থেকে অব্যাহতি নেন এবং তার কাজের জন্য তাকে অর্ডার অব দ্য ব্রিটিশ এম্পায়ার, ফরাসি ক্রোয়া দি গের, ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লিজিয়ন অব মেরিট-এ ভূষিত করা হয়। যুদ্ধের পর অস্টিন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে নৈতিক দর্শনের অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করেন। তিনি সেখানে তার বিখ্যাত "অস্টিন্‌স স্যাটারডে মর্নিংস"-এ তার ছাত্র ও সহকর্মীদের নিয়ে ভাষার ব্যবহার নিয়ে আলোচনা করতেন, কিন্তু এর মধ্যে মাত্র কয়েকটি আলোচনা প্রকাশিত হয়েছে। অস্টিন পঞ্চাশের দশকের মধ্যভাগে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, বার্কলিতে যান। ১৯৫৫ সালে তিনি উইলিয়াম জেমসের বক্তৃতা দেন যা পরে "হাউ টু ডো থিংস উইথ ওয়ার্ডস" নামে পরিচিতি লাভ করে, এবং একটি সেমিনারে অংশগ্রহণ করেন যার বিষয়বস্তু "আ প্লিয়া ফর এক্সকিউজেস" বের করতে সক্ষম হয়। এই সময়ে তিনি নোম চম্‌স্কির সাথে সাক্ষাৎ করেন এবং তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব হয়। তিনি ১৯৫৬ সাল থেকে ১৯৫৭ সাল পর্যন্ত এরিস্টটেলিয়ান সোসাইটির সভাপতি ছিলেন। তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ বিষয়শ্রেণী:১৯১১-এ জন্ম বিষয়শ্রেণী:১৯৬০-এ মৃত্যু বিষয়শ্রেণী:ইংরেজ দার্শনিক বিষয়শ্রেণী:বিশ্লেষণী দার্শনিক বিষয়শ্রেণী:ভাষার দার্শনিক বিষয়শ্রেণী:ল্যাঙ্কাস্টার, ল্যাঙ্কাশায়ারের ব্যক্তিত্ব বিষয়শ্রেণী:সাধারণ ভাষা দর্শন
জন ল্যাংশ অস্টিন
ঘটনাবলী ১১১২ – ইতিহাসের এই দিনে চীনা জ্যোতির্বিদরা সূর্যের অভ্যন্তরে কালো বায়বীয় বস্তুর অস্তিত্ব লক্ষ করেন। ১৯৪৫ – ইতিহাসের এই দিনে সোভিয়েত বাহিনী বার্লিন দখল করে নেয়। বার্লিন জার্মানির রাজধানী এবং ইউরোপ মহাদেশের একটি ঐতিহাসিক শহর। বার্লিন শহরে ৩৪ লাখেরও বেশি লোক বাস করেন। ১৯৪৫ – ইতিহাসের এই দিনে ইতালিতে মোতায়েন প্রায় ১০ লাখ জার্মান সৈন্য নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ করে। ১৯৬৪ – ইতিহাসের এই দিনে তৎকালীন সায়গন বন্দরে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রে নৌবাহিনীর জাহাজ ইউএসএনএস কাড বিস্ফোরণে ডুবে যায়। ১৯৭২ - দক্ষিণ আমেরিকান দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে স্বাধীন দেশ হিসেবে সর্বপ্রথম স্বীকৃতি দেয় কলম্বিয়া, কোস্টারিকা এবং ভেনেজুয়েলা। জন্ম ১৭২৯ - রাশিয়ার দ্বিতীয় ক্যাথেরিন (মৃ. ১৭৯৬) ১৭৭২ - নোভালিশ, জার্মান লেখক এবং কবি। (মৃ. ১৮০১) ১৮৬০ - থিওডোর হের্জল, অস্ট্রিয়া-হাঙ্গেরির একজন ইহুদি সাংবাদিক ও লেখক। (মৃ. ১৯০৪) ১৯০১ - বব ওয়াট, ইংলিশ ক্রিকেটার। (মৃ. ১৯৯৫) ১৯২১ - সত্যজিৎ রায়, বাংলা সাহিত্যিক, সঙ্গীতজ্ঞ, চিত্রকর ও চলচ্চিত্র পরিচালক| ১৯২৮ - ফয়েজ আহমেদ, বাংলাদেশের প্রখ্যাত সাংবাদিক, সাহিত্যিক, রাজনীতিবিদ। ১৯২৯ - এদুয়ার বালাদুর, ফ্রান্সের সাবেক প্রধানমন্ত্রী। ১৯২৯ - জিগমে দর্জি ওয়াংচুক, ভূটানের তৃতীয় ড্রূক গ্যালাপ (রাজা) ছিলেন। (মৃ. ১৯৭২) ১৯৩১ - পুলক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথিতযশা ভারতীয় বাঙালি গীতিকার ও সুরকার ।(মৃ.০৭/০৯/১৯৯৯) ১৯৩৫ - দ্বিতীয় ফয়সাল, ইরাকের তৃতীয় ও শেষ বাদশাহ। ১৯৩৯ - সুমিও ইজিমা, জাপানি পদার্থবিদ, প্রায়শই কার্বন ন্যানোটিউব আবিষ্কারের জন্য যাকে স্মরণ করা হয়। ১৯৪২ - জ্যাকুয়েস রগ, বেলজিয়ামের ক্রীড়া অধিকর্তা হিসেবে পরিচিত ব্যক্তিত্ব। ১৯৫৮ - ডেভিড ও'লিয়ারি, আয়ারল্যান্ডীয় পেশাদার ফুটবল খেলোয়াড় এবং ম্যানেজার। ১৯৬০ - স্টিভেন ডাল্ড্রি, ইংরেজ পরিচালক ও প্রযোজক। ১৯৬৯ - ব্রায়ান লারা, ত্রিনিদাদিয়ান ক্রিকেটার। ১৯৭২ - ডোয়েইন জনসন, মার্কিন-কানাডীয় অভিনেতা, প্রযোজক এবং পেশাদার কুস্তিগির। ১৯৭৫ - ডেভিড বেকহ্যাম, ইংরেজ ফুটবলার। ১৯৮২ - যোহান বোথা, দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটার। ১৯৯৬ - জুলিয়ান ব্র্যান্ড, জার্মান ফুটবলার। ২০১৫ - প্রিন্সেস শার্লট অব কেমব্রিজ, প্রিন্স উইলিয়াম, ডিউক অব কেমব্রিজ, এবং ক্যাথরিন, ডাচেস অফ কেমব্রিজ এর কনিষ্ঠতম এবং একমাত্র কন্যা। মৃত্যু ১৫১৯ - লিওনার্দো দা ভিঞ্চি, ইতালীয় রেনেসাঁসের কালজয়ী চিত্রশিল্পী।(জ.১৫/০৪/১৪৫২) ১৯০৮ - প্রফুল্ল চাকী ভারতীয় উপমহাদেশে বৃটিশ বিরোধী স্বাধীনতা সংগ্রামের বিপ্লবী। (জ.১০/১২/১৮৮৮) ১৯৫৭ - জোসেফ ম্যাকার্থি, মার্কিন রাজনীতিবিদ। (জ. ১৯০৮) ১৯৭২ - জে. এডগার হুভার, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এফবিআই প্রথম পরিচালক এবং মার্কিন আইন প্রণয়নকারী কর্মকর্তা। (জ. ১৮৯৫) ১৯৭৭ - মাহমুদা খাতুন সিদ্দিকা, বাঙালি কবি। ১৯৭৯ - জুলিও নাত্তা, ইতালীয় রসায়নবিজ্ঞানী। (জ. ১৯০৩) ১৯৮০ - ক্ল্যারি গ্রিমেট, বিখ্যাত অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার। ১৯৯৯ - অলিভার রিড, ইংলিশ অভিনেতা। (জ. ১৯৩৮) ২০১০ - লিন রেডগ্রেভ, ইংলিশ-আমেরিকান অভিনেত্রী এবং গায়ক। (জ. ১৯৪৩) ২০১১ - ওসামা বিন লাদেন, সন্ত্রাসবাদী গেরিলা যোদ্ধা এবং আল-কায়দা এর প্রতিষ্ঠাতা। ছুটি ও অন্যান্য বহিঃসংযোগ বিবিসি: এই দিনে দি নিউইয়র্ক টাইমস: এই দিনে বিষয়শ্রেণী:গ্রেগরীয় পঞ্জিকার দিন মে ০২
২ মে
right|thumb|V, I, এবং R, ও‍’মের সূত্রের মূল পরামিতি। পদার্থবিজ্ঞানে ওমের সূত্র বা ওমের বিধি তড়িৎ প্রবাহ, রোধ ও বিভব পার্থক্যের সম্পর্ক নির্দেশকারী একটি বিধি বা সূত্র। ও‍মের সূত্র অনুযায়ী তাপমাত্রা ও অন্যান্য ভৌত অবস্থা অপরিবর্তিত থাকলে কোনো বিদ্যুৎ পরিবাহীর বিদ্যুৎপ্রবাহের মাত্রা (I) পরিবাহীটির দুই প্রান্তের বৈদ্যুতিক বিভবের পার্থক্যের (V) সমানুপাতিক। কোনো পরিবাহীর দুই প্রান্তের মধ্যে বিভব পার্থক্য থাকলে তার মধ্য দিয়ে তড়িৎ প্রবাহ সংঘটিত হয়। এই তড়িৎ প্রবাহের মান নির্ভর করে পরিবাহীর দুই প্রান্তে কী পরিমাণ বিভব পার্থক্য প্রয়োগ করা হয়েছে তার ওপর, পরিবাহীর প্রকৃতি এবং তার তাপমাত্রার উপর। জার্মান পদার্থবিজ্ঞানী জর্জ সাইমন ওহম কোনো পরিবাহী তারের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত তড়িৎ প্রবাহমাত্রা এবং এর দুই প্রান্তের বিভব পার্থক্যের মধ্যে যে সম্পর্ক রয়েছে সে বিষয়ে নিম্নবর্ণিত সূত্র প্রদান করেন যা ওমের সূত্র নামে পরিচিত। যদি V একটি বিভব উৎস এবং R একটি রোধ যার মধ্য দিয়ে তড়িৎ প্রবাহিত হচ্ছে, তাহলে ও'মের সূত্র অনুযায়ী : V = IR. right|thumb|200px ইতিহাস জার্মান পদার্থবিজ্ঞানী জর্জ সাইমন ওহম ১৮২৬ খ্রিস্টাব্দে ফুরিয়ারের তাপ পরিবহন সংক্রান্ত গবেষণার উপর ভিত্তি করে বতর্নীর তড়িৎ পরিবহনের গাণিতিক ব্যাখ্যা প্রদান করেন। সূত্রটি ও‍’মের সূত্র নামে পরিচিত। এ সূত্রটি পরিবাহীর দু'প্রান্তের বিভব পার্থক্য, তড়িৎ প্রবাহ মাত্রা এবং রোধের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন করে। জানুয়ারী 1781 সালে, জর্জ সাইমন ওহমের কাজের আগে হেনরি ক্যাভেনডিস লেনডেন জার এবং কাচের নলগুলির বিভিন্ন ব্যাস এবং লম্বা দ্রবীভূত ভঙ্গুর দৈর্ঘ্যের সাথে পরীক্ষা করেছিলেন।তিনি তার শরীরের সাথে বর্তনী সম্পন্ন হিসাবে তিনি অনুভূত কিভাবে একটি দৃঢ় শঙ্কিত মন্তব্য দ্বারা।ক্যা ভেনডিস লিখেছেন যে "গতি" (বর্তমান) "ডিগ্রি ইলেকট্রিকেশন" (ভোল্টেজ)। এ সময় তিনি অন্যান্য বিজ্ঞানীকে তার ফলাফলের সাথে যোগাযোগ করেন নি, এবং ১৮৭৯ সালে ম্যাক্সওয়েল তাদের প্রকাশিত না হওয়া পর্যন্ত তার ফলাফল অজানা ছিল। ওম ১৮২৫ এবং ১৮২৬ সালের মধ্যেই তাঁর প্রতিরোধের কাজটি করেন এবং ১৮২৭ সালে প্রকাশিত তাঁর বইটি গণপ্রজাতন্ত্রী কেট, গণিতবিদ বিয়ারবেইটেট ("গণনাকারী সার্কিটকে গাণিতিকভাবে পরীক্ষা করে") হিসাবে প্রকাশ করেন। তিনি তার কাজ তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা তাপ চালনা নেভিগেশন ফোরের এর কাজ থেকে যথেষ্ট অনুপ্রেরণা নেন। পরীক্ষার জন্য, তিনি প্রথমে ভোল্টাইক পিল ব্যবহার করতেন, কিন্তু পরবর্তীতে এটি একটি তাপদ্বয় ব্যবহার করতেন কারণ এটি অভ্যন্তরীণ প্রতিরোধের এবং ধ্রুবক ভোল্টেজের ক্ষেত্রে আরও স্থিতিশীল ভোল্টেজ উৎস প্রদান করেছিল। ও'মের সূত্রের বিবৃতি "উষ্ণতা ও অন্যান্য ভৌত অবস্থা অপরিবর্তিত থাকলে, কোনো পরিবাহীর মধ্য দিয়ে তড়িৎপ্রবাহমাত্রা ওই পরিবাহীর দুই প্রান্তের বিভব-পার্থকের সমানুপাতিক ।" তাপমাত্রা স্থির থাকলে কোনো পরিবাহীর মধ্য দিয়ে যে তড়িৎ প্রবাহ চলে তা ঐ পরিবাহীর দুই প্রান্তের বিভব পার্থক্যের সমানুপাতিক। সমানুপাতিক বলতে বুঝায় যদি পরিবাহীর দুই প্রান্তের বিভব পার্থক্য দ্বিগুণ করা হয়, তবে পরিবাহীর মধ্য দিয়ে প্রবাহিত তড়িৎ প্রবাহ দ্বিগুণ হবে। আবার, যদি পরিবাহীর দুই প্রান্তের বিভব পার্থক্য এক-তৃতীয়াংশ করা হয়, তবে পরিবাহীর মধ্য দিয়ে প্রবাহিত তড়িৎ প্রবাহও এক-তৃতীয়াংশ হবে। ধরা যাক V একটি বিভব উৎস এবং R একটি রোধ যার মধ্য দিয়ে I পরিমাণ তড়িৎ প্রবাহিত হচ্ছে , তাহলে ও'মের সূত্র অনুযায়ী : V = IR . পদার্থবিজ্ঞানে ও'মের সূত্র তড়িৎ প্রবাহ, রোধ ও বিভব পার্থক্যের সম্পর্ক নির্দেশ করে। সূত্রটিকে নিম্নোক্তভাবে প্রকাশ করা যায়: এখানে, V = পরিবাহীর দু'প্রান্তের বিভব পার্থক্য (voltage), I = তড়িৎ প্রবাহ মাত্রা (current), R = রোধ (resistance) উদ্দেশ্য ওম এর সূত্র হল একটি প্রামাণিক তত্ত্ব, অনেক গবেষণার একটি সাধারণীকরণ যা দেখিয়েছে যে অধিকাংশ উপকরণ বৈদ্যুতিক ক্ষেত্রের প্রায় সমতুল্য। এটা ম্যাক্সওয়েল এর সমীকরণ তুলনায় কম মৌলিক এবং সর্বদা পালন করা হয় না। কোনো প্রদত্ত উপাদান একটি শক্তিশালী-যথেষ্ট বিদ্যুৎ ক্ষেত্রের অধীন ভাঙ্গে যাবে, এবং ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংতে আগ্রহের কিছু উপকরণ দুর্বল ক্ষেত্রগুলির অধীন "নন-অহমিক"। ওম এর আইন একটি দৈর্ঘ্য আইশ বিস্তৃত পরিদর্শন করা হয়েছে।বিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে, এটি মনে করা হয়েছিল যে ওম এর আইন পারমাণবিক স্কেলে ব্যর্থ হবে, কিন্তু পরীক্ষায় এই প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। ২০১২ সালের হিসাবে, গবেষকরা দেখিয়েছেন যে ওম এর আইনটি সিলিকন তারের জন্য কাজ করে যেটা চারটি পরমাণু প্রশস্ত এবং একটি উচ্চ পরমাণু । তাপমাত্রা প্রভাব ওম এর সূত্র কখনও কখনও বলা হয়েছে, "প্রদত্ত অবস্থায় একটি কন্ডাক্টরের জন্য, ইলেক্ট্রোমোটাইভ বল বর্তমান উৎপাদনের সমানুপাতিক।" যে, প্রতিরোধের, প্রয়োগ ইলেক্ট্রোমোটাইপ বল (অথবা ভোল্টেজ) বর্তমান থেকে অনুপাত, "বর্তমান শক্তি সঙ্গে পরিবর্তিত হয় না।কোয়ালিফাইং "একটি প্রদত্ত অবস্থায়" সাধারণত "স্থিতিশীল তাপমাত্রায়" অর্থ হিসাবে ব্যাখ্যা করা হয়, যেহেতু বস্তুর প্রতিরোধক্ষমতা সাধারণত তাপমাত্রা নির্ভরশীল। যেহেতু বর্তমান প্রবাহটি পরিচালিত জুল এর সাথে সম্পর্কিত, Joule এর প্রথম আইন অনুযায়ী, কোন পরিচালিত শরীরের তাপমাত্রা যখন বর্তমানকে বহন করে তখন এটির পরিবর্তন হতে পারে। তাপমাত্রায় প্রতিরোধের নির্ভরতা তাই প্রতিরোধ করে একটি সাধারণ পরীক্ষামূলক সেটআপের মধ্যে বর্তমানের উপর নির্ভর করে, এই ফর্মটিতে আইনটিকে সরাসরি যাচাই করা কঠিন করে তোলে। ম্যাক্সওয়েল এবং অন্যান্যরা 1876 সালে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য বিভিন্ন পদ্ধতিতে কাজ করে, গরম প্রভাবের জন্য নিয়ন্ত্রণ করে। বিষয়শ্রেণী:তড়িৎ প্রবাহ ও বর্তনী বিষয়শ্রেণী:চল তড়িৎ বিষয়শ্রেণী:পদার্থ বিদ্যা
ও‍’মের সূত্র
লালসালু বাঙালি লেখক সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ রচিত অভিষেক উপন্যাস। ১৯৪৮ সালে রচিত এবং প্রকাশিত উপন্যাসটি বাংলা সাহিত্যের ধ্রুপদী সৃষ্টিকর্ম হিসেবে বিবেচিত। এর পটভূমি ১৯৪০ কিংবা ১৯৫০ দশকের বাংলাদেশের গ্রামসমাজ হলেও এর প্রভাব বা বিস্তার কালোত্তীর্ণ। মূলত গ্রামীণ সমাজের সাধারণ মানুষের সরলতাকে কেন্দ্র করে ধর্মকে ব্যবসার উপাদানরূপে ব্যবহারের একটি নগ্ন চিত্র উপন্যাসটির মূল বিষয়। ওয়ালীউল্লাহ এই উপন্যাসের জন্যে ১৯৬১ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার পান। উপন্যাসটি উর্দু, ফরাসি, ইংরেজি ও ভাষায় অনুবাদ করা হয়েছে। প্রকাশনা লালসালু প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯৫৫ সালে ঢাকার কমরেড পাবলিশার্স থেকে। ১৯৬০ সালে কথাবিতান প্রকাশনী বের করে দ্বিতীয় সংস্করণ। পরে নওরোজ কিতাবিস্তান ১৯৬৩ সালে এর পরিমার্জিত ও পরিবর্ধিত সংস্করণ প্রকাশিত হয়। ১৯৮৯ সালে কলকাতর চিরায়ত প্রকাশন থেকে এটি প্রকাশিত হয়েছিল। ২০০৬ সালে নওরোজ কিতাবিস্তান, বিশ্বসাহিত্য ভবন, এবং ৩০১২ সালে অ্যাডর্ন পাবলিকেশন এটি প্রকাশ করেছে। সাহিত্য-সমালোচনা কবি আহসান হাবীব লালসালুকে বলেছিলেন তৎকালীন "বাঙালি মুসলিম রচিত শ্রেষ্ঠ উপন্যাস"। অনুবাদ ১৯৬০ সালে পাকিস্তান লেখক সংঘ কর্তৃক করাচি থেকে Lal Shalu নামে উপন্যাসটির উর্দু অনুবাদ প্রকাশিত হয়। অনুবাদ করেছিলেন কলিমুল্লাহ। একই বছর প্যারিস থেকে এর ফরাসি অনুবাদ বের হয়। L Arbre sans racines শিরোনমে ফরাসি অনুবাদ প্রকাশিত হয়েছিল Editions du Seuil প্রকাশনী থেকে। এটি অনুবাদ করেছিলেন ওয়ালীউল্লাহর সহধর্মিণী অ্যান-মারি-থিবো। লালসালু উপন্যাসের ইংরেজি অনুবাদ করেন অ্যান-মারি-থিবো, জেফ্রি ডিবিয়ান, কায়সার সাঈদ এবং মালিক খৈয়াম। তবে ওয়ালীউল্লাহ নিজে এতে সম্প্রসারণের কাজ করেন। ১৯৬৭ সালে যুক্তরাজ্যের লন্ডনের Chatto অ্যান্ড Windus লিমিটেড থেকে Tree Without Roots শিরোনামে প্রকাশিত হয়। পরবর্তীতে উপন্যাসটি জার্মান ও চেক ভাষাসহ বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়েছে। জনপ্রিয় সংস্কৃতিতে ২০০১ সালে তানভীর মোকাম্মেলের পরিচালনায় উপন্যাসটি চলচ্চিত্ররূপ লাভ করে। এতে মজিদ চরিত্রে অভিনয় করেন রাইসুল ইসলাম আসাদ। ২০০১ সালে চলচ্চিত্রটি শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র সহ আটটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করে। পাশাপাশি দর্শকদের বিচারে এটি শ্রেষ্ঠ ১০টি বাংলাদেশি চলচ্চিত্রের তালিকায় স্থান পেয়েছে। তথ্যসূত্র গ্রন্থপঞ্জী বহিঃসংযোগ বাংলা উপন্যাসের নায়কেরা বিষয়শ্রেণী:১৯৪৮-এর উপন্যাস বিষয়শ্রেণী:গ্রামীণ পটভূমিতে লিখিত উপন্যাস বিষয়শ্রেণী:অ্যাডর্ন পাবলিকেশনের বই
লালসালু (উপন্যাস)
বোচাগঞ্জ বাংলাদেশের দিনাজপুর জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা। অবস্থান এই উপজেলার উত্তরে বীরগঞ্জ উপজেলা এবং পীরগঞ্জ উপজেলা ঠাকুরগাঁও জেলা, দক্ষিণে বিরল উপজেলা ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, পূর্বে বীরগঞ্জ উপজেলা, কাহারোল উপজেলা এবং বিরল উপজেলা, পশ্চিমে পীরগঞ্জ উপজেলা। প্রশাসনিক এলাকা বোচাগঞ্জ উপজেলা ৬ টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত । ইউনিয়ন সমূহ হলো— ১নং নাফানগর ইউনিয়ন পরিষদ ২নং ইশানিয়া ইউনিয়ন পরিষদ ৩নং মুশিদহাট ইউনিয়ন পরিষদ ৪নং আটগাঁও ইউনিয়ন, বোচাগঞ্জ পরিষদ ৫নং ছাতইল ইউনিয়ন পরিষদ ৬নং রনগাও ইউনিয়ন পরিষদ শিক্ষা ব্যবস্থা প্রাথমিক বিদ্যালয় সেনিহারী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কৃষ্ণপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কড়ই সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় জালগাও সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মুশিদহাট মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মহারাজপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় গোবিন্দপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মতিজাপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় চন্ডিপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় হরিশ্চন্দ্রপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় দীঘরি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মহেশপুর আদিবাসী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মেলাগাছি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় সেতাবগঞ্জ সরকারি পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয় সেতাবগঞ্জ চিনিকল উচ্চ বিদ্যালয় সেতাবগঞ্জ আইডিয়াল একাডেমি সেতাবগঞ্জ পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় সেতাবগঞ্জ আইডিয়াল কিন্ডারগার্ডেন স্কুল বাতাসন দ্বীমুখি উচ্চ বিদ্যালয় মুরারীপুর উচ্চ বিদ্যালয় মতিজাপুর উচ্চ বিদ্যালয় সেতাবগঞ্জ হলিলাইট স্কুল এন্ড কলেজ সনকাই উচ্চ বিদ্যালয় ইশানিয়া এসসি উচ্চ বিদ্যালয় সহষপুর আডিয়াল উচ্চ বিদ্যালয় বকুলতলা গার্লষ মহেশপুর আদিবাসী উচ্চ বিদ্যালয় বড়সুলতানপুর উচ্চ বিদ্যালয় সোহেল স্মৃতি আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় কলেজ সেতাবগঞ্জ সরকারী কলেজ সেতাবগঞ্জ মহিলা কলেজ নাফানগর টেকনিক্যাল এন্ড বিজনেস মেনেজমেন্ট কলেজ হাটরামপুর কলেজ সেতাবগঞ্জ বকুলতলা কলেজ দক্ষিণ রণগাও টেকনিক্যাল কলেজ মাদ্রাসা সেতাবগঞ্জ কামিল মাদ্রাসা নদীসমূহ বোচাগঞ্জ উপজেলায় ১টি নদী রয়েছে। নদীটি হচ্ছে টাঙ্গন নদী। ক্রীড়াঙ্গনসম্পাদনাসম্পাদনা বোচাগঞ্জে ফুটবল খেলা বেশি জনপ্রিয়। বিভিন্ন খেলার আয়োজনের জন্যে বোচাগঞ্জের সেতাবগঞ্জ শহরে একটি মিনি স্টেডিয়াম আছে যা শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম (সেতাবগঞ্জ বড়মাঠ) নামে পরিচিত। এখানে ক্রিকেট খেলা ও বেশ জনপ্রিয় যোগাযোগ ব্যবস্থা এই উপজেলায় তিনটি রেলওয়ে স্টেশন আছে। সেগুলো হচ্ছে মোল্লাপাড়া, সেতাবগঞ্জ ও সুলতানপুর রেলস্টেশন। উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব হাজী মোহাম্মদ দানেশ (২৭ জুন ১৯০০- ২৮ জুন ১৯৮৬),অবিভক্ত ব্রিটিশ ভারতের কৃষক নেতা। আব্দুর রৌফ চৌধুরী (১৯৩৭-২০০৭খ্রিঃ), বাংলাদেশ সরকারের ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী। খালিদ মাহমুদ চৌধুরী (৩১ জানুয়ারি ১৯৭০-), বাংলাদেশ নৌ পরিবহন মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী। তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ বিষয়শ্রেণী:দিনাজপুর জেলার উপজেলা বিষয়শ্রেণী:বোচাগঞ্জ উপজেলা
বোচাগঞ্জ উপজেলা
বিরল বাংলাদেশের দিনাজপুর জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা। অবস্থান এই উপজেলার উত্তরে বোচাগঞ্জ উপজেলা ও কাহারোল উপজেলা, দক্ষিণে দিনাজপুর সদর উপজেলা ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য, পূর্বে দিনাজপুর সদর উপজেলা ও পুনর্ভবা নদী, ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য ও বোচাগঞ্জ উপজেলা। প্রশাসনিক এলাকা বিরল উপজেলায় ১২টি ইউনিয়ন রয়েছে। বিরল ইউনিয়ন আজিমপুর ইউনিয়ন ফরক্কাবাদ ইউনিয়ন ধামইর ইউনিয়ন শহরগ্রাম ইউনিয়ন ভান্ডারা ইউনিয়ন বিজোড়া ইউনিয়ন ধর্মপুর ইউনিয়ন মঙ্গলপুর ইউনিয়ন রানীপুকুর ইউনিয়ন পলাশবাড়ী ইউনিয়ন রাজারামপুর ইউনিয়ন ইতিহাস জনসংখ্যার উপাত্ত বিরল উপজেলার জনসংখ্যা ২,৫৭,৯২৫ জন (২০১১ সালের আদমশুমারী অনুযায়ী)। পুরুষ লোক সংখ্যা- ১,৩০,১৬০ জন। মহিলা লোক সংখ্যা- ১,২৭,৭৬৫ জন। শিক্ষা কলেজ মাধ্যমিক বিদ্যালয় {| class="wikitable" |- ! ক্রমিক নং ! নাম ! স্থাপিত |- |১ |রুদ্রপুর মেসনা এস.সি. দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয় |১৯৬৯ | |- |২ |ধুকুরঝাড়ী দ্বি- মুখি উচ্চ বিদ্যালয় | | |- |৩ |ফরক্কাবাদ এন.আই উচ্চ বিদ্যালয় |১৯৬৩ | |- |৪ |আজিমপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়। |০১/০১/১৯৯৩ ইং | |- |৫ |বালান্দোর উচ্চ বিদ্যালয়। | | |- |৬ |বেতুড়া দ্বি-মুখি উচ্চ বিদ্যালয়। |১৯৬৪ | |- |৭ |মোহনা মঙ্গলপুর উচ্চ বিদ্যালয় |১৯৫৪ | |- |৮ |উত্তর বিষ্ণুপুর ভি,এম.এস.সি উচ্চ বিদ্যালয় |১৯৪৫ | |- |৯ |উত্তর মাধবপুর উচ্চ বিদ্যালয় |১৯৯৫ | |- |১০ |জিনইর উচ্চ বিদ্যালয় |১৯৯২ | |- |১১ |রাজুরিয়া উচ্চ বিদ্যালয় | | |- |১২ |পাকুড়া উচ্চ বিদ্যালয় |২০০২ | |- |১৩ |রামপুর উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়। | | |- |১৪ |মুন্সিপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় |১৯৬০ | |- |১৫ |কালিয়াগঞ্জ এস, সি উচ্চ বিদ্যালয় |০১/০১/১৯৮২ ইং | |- |১৬ |চৌধুরীডাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয় |১৯৯৩ | |- |১৭ |কামদেবপুর উচ্চ বিদ্যালয় |১৯৬৭ | |- |১৮ |কাশিডাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয় |১৯৯৪ | |- |১৯ |দঃমাধবপুর উচ্চ বিদ্যালয় |১৯৯৪ | |- |২০ |বিস্তইড় উচ্চ বিদ্যালয় |১৯৯৪ | |- |২১ |ধর্মপুর্ ইউ,সি,উচ্চ বিদ্যালয় |১৯৬৬ | |- |২২ |মির্জাপুর উচ্চ বিদ্যালয় |১৯৯৫ | |- |২৩ |ঢেরাপাটিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় | | |- |২৪ |তেঘরা মাধ্যমিক বিদ্যালয় |২০০০ | |- |২৫ |কানাইবাড়ী মাধ্যমিক বিদ্যালয় |১৯৮১ | |- |২৬ |সারাঙ্গাই পলাশবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়। |১১ নং পলাশবাড়ী ইউনিয়ন। |১৯৭১ |- |২৭ |চকের হাট উচ্চ বিদ্যালয় |১৯৯৩ | |- |২৮ |করলা মাধববাটী উচ্চ বিদ্যালয় |১৯৬৮ |- |২৯ |বিরল পাইলা মঠেল উচ্চ বিদ্যালয় |১৪২০ | |- |৩০ |মখলেশপুর উচ্চবিদ্যালয় |১৯৬২ | |৩১ বিরল আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় অর্থনীতি এ অঞ্চলের অর্থনীতি কৃষি নির্ভর।ধান,ভুট্টা,গম, লিচু এখানকার প্রধান উৎপাদনকারী ফসল। এ উপজেলার মাধববাটী গ্রাম লিচু চাষের জন্য বিখ্যাত। নদীসমূহ বিরল উপজেলায় ৩ টি নদী রয়েছে। নদীগুলো হচ্ছে পুনর্ভবা নদী , টাঙ্গন নদী এবং তুলাই নদী। কৃতী ব্যক্তিত্ব ছতিশ চন্দ্র রায় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ১৯৯৬। অধ্যাপক ইউসুফ আলী। প্রথম শিক্ষা মন্ত্রী। বিশেষ জায়গা ১। কড়ই বিল ২। ধর্মপুরের শালবন ৩। দীপশিখা মেটিস্কুল। তথ্যসুত্র বহিঃসংযোগ বিষয়শ্রেণী:দিনাজপুর জেলার উপজেলা বিষয়শ্রেণী:বিরল উপজেলা
বিরল উপজেলা
ডোমার বাংলাদেশের রংপুর বিভাগের নীলফামারী জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা। এই উপজেলা ১০টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা নিয়ে গঠিত। এটি রংপুর বিভাগের আওতাধীন নীলফামারী জেলার ৬টি উপজেলার একটি এবং জেলার সীমান্তবর্তী দুটি উপজেলার একটি উপজেলা। এর উত্তরে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কুচবিহার জেলা, দক্ষিণে নীলফামারী সদর উপজেলা, পূর্বে ডিমলা ও জলঢাকা উপজেলা এবং পশ্চিমে দেবীগঞ্জ উপজেলা। ডোমার উপজেলার আয়তন ২৫০.৮৪ বর্গ কিলোমিটার। ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী উপজেলার জনসংখ্যা ২,৪৯,৪২৯ জন এবং স্বাক্ষরতার হার ৪৮.৩%। ব্রিটিশ শাসনামলে ১৮৭৫ সালে ডোমার থানা প্রতিষ্ঠা করা হয়। বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভের পর ১৯৮৪ সালে ডোমার থানাকে উপজেলায় উন্নীত করা হয়। বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ডোমারের সংসদীয় আসন নীলফামারী-১। ডিমলা ও ডোমার উপজেলা নিয়ে গঠিত এ আসনটি জাতীয় সংসদে ১২ নং আসন হিসেবে চিহ্নিত। নামকরণ ঐতিহাসিকদের মতে ডোমারে ভীমের রাজধানী ছিল বা তিনি এখানে কোন দুর্গ নির্মাণ করেছিলেন, যা মৃত্‍প্রাচীর দ্বারা সুরক্ষিত করেছিলেন মৃত্‍প্রাচীরকে ডমর বলা হতো৷ ডমর থেকে ডোমার অথবা ডমননগর বা ডোমননগর এবং পরবর্তীতে তা থেকে ডোমার নামের উত্‍পত্তি হয়েছে। আরও জনশ্রুতি আছে এখানে ডোমদের (যারা বাশ,কাঠ ইত্যাদির কাজ করতো) বাস ছিল। তাই ডোম থেকে ডোমার নামের উতপত্তি হতে পারে বলে ধারণা করা হয়। ইতিহাস ঐতিহাসিকদের মতে, প্রাচীনকালে ডোমারসহ এ অঞ্চল কামরূপ রাজ্যের অংশ ছিল। এ অঞ্চলটি পাল, খেন, কোচ প্রভৃতি রাজবংশ দীর্ঘ সময় ধরে শাসন করেছে। ডোমার থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরে জলঢাকা উপজেলার খেরকাটি নামক গ্রামে পাল বংশের দ্বিতীয় রাজা ধর্মপাল দুর্গ নির্মাণ করেছিলেন, পরবর্তীতে তার নামে এ এলাকার নাম হয় ধর্মপাল। "আগাডুম বাগাডুম ঘোড়াডুম সাজে ঢাক মৃদং ঝাঁজর বাজে" ডোমার এর পূর্ব নাম ছিল ডোমন নগর। এই ছড়াটি ডোমারের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের কথা বলে। বিখ্যাত কৈবত্যরাজ দিব্বোকের ভ্রাতুষ্পুত্র মহাপরাক্রমশালী ভীমের ডোম সৈন্যের যুদ্ধ যাত্রার ছবি এই ছড়াটিতে বিধৃত। তৃতীয় মহীপাল একজন অত্যাচরি রাজা ছিলেন। তার অত্যাচারে রাজ্যের প্রজারা অতিষ্ট হয়ে ওঠে এবং তৃতীয় বিগ্রপালের সেনাপতি কৈবত্য দিব্বোকের নেতৃত্বে বিদ্রোহ করে৷ দিব্বোক অত্যাচারিত প্রজাদের নিয়ে তৃতীয় মহীপালকে হত্যা করেন এবং ভ্রাতুষ্পুত্র ভীমকে মহীপালের স্থলাভিষিক্ত করেন। কৈবত্যরা জাতে জেলে ছিল এবং মত্‍স্যদেশে সে সময় কৈবত্যরাই নৌশক্তি বলে বলীয়ান ছিল৷ ফলে অন্যান্য রাজশক্তি তাদের হাতে পরাভূত হয়েছিল৷ আনুমানিক ১০৭৫ খ্রিষ্টাব্দে গৌড় সিংহাসনে অভিষিক্ত করেন। দিব্বোকের মৃত্যুর পর তার অনুজ রম্নদ্রোকের পুত্র ভীম বরেন্দ্রীর অধিপতি হন৷ তিনি রংপুর জেলার 'ডমননগরে' তার রাজধানী স্থাপন করেছিলেন। এই ডমননগরই ইস্ট বেঙ্গল রেলওয়ে বর্তমানে বাংলাদেশ রেলওয়ের ডোমার স্টেশন। তৃতীয় মহীপালের অনুজ শূরপাল ও রামপাল কৈবত্যরাজকে পরাজিত করে এবং কনিষ্ঠ ভ্রাতা রামপাল পিতৃসিংহাসনে অধিষ্ঠিত হন। কৈবত্যরাজ পরাজিত হলে ভীম ও সেনাপতি হরি বর্তমান ডোমার থেকে ডোম সৈন্য সংগ্রহ করে যুদ্ধযাত্রা করে। এই যুদ্ধযাত্রার ছবি 'আগাডুম বাগডুম' ছড়া। যুদ্ধে ভীম বন্দি হলে সেনাপতি হরি পুনরায় সৈন্য সংগ্রহ করে যুদ্ধে গমন করেছিলেন। কিন্তু রাজা সেনাপতি উভয়ে বন্দি হয়ে কারাগারে মৃত্যুবরণ করেন। সে রামপালের নামানুসারে রামগঞ্জ, রামনগর, রামকলা, দিনাজপুরের রামসাগর প্রভিতি নামের উত্‍পত্তি হয়েছে। রামপাল বরেন্দ্রী উদ্ধার করে ভীমের রাজধানী ডমননগর বা ডোমননগর বা ডোমার লূন্ঠিত, বিধ্বংস ও অগ্নিসংযোগে ভূমিসাত্‍ করেছিলেন। অক্ষয় কুমার মৈত্রেয়, স্যার যদুনাথ সরকার প্রমূখ আলোচ্য ডমননগরকেই ভীমের রাজধানী বলেছেন। তবে কোন কোন ঐতিহাসিক ভীমের রাজধানী ঘোড়াঘাটের সন্নিকটে বলে অবস্থিত বলে বর্ণনা করেছেন, আবার কেউ কেউ মনে করেন, ভীম হয়তো ডোমারে বসবাস করেরননি; কিন্তু উত্তর ও পূর্ব দিকের পার্বত্য উপজাতিদের মোকাবেলার্থে ডোমারে কোনো দুর্গ নিমাণ করেছিলেন। মোঘল আমলে রংপুর অঞ্চলে যে ছয়টি পরগনা ছিল, ডোমার ছিল কাজিরহাট পরগনার অধীন। ১৬৮৭ সালে সুবেদার শায়েস্তা খাঁর পুত্র ইবাদত খাঁ কোচ মহারাজা মহিন্দ্র নারায়নের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হয় এবং কাজিরহাট, কাকিনা ও ফতেহপুর চাকলা দখল করে নেয়। ১৭৬৫ সালে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বাংলার দেওয়ানি লাভ করলে এ অঞ্চলেও ব্যাপক পরিবর্তন। জমি বন্দোবস্ত ও পাঁচশালা ইজারা ব্যস্থার কারনে বাংলার অন্যান্য অঞ্চলের মত এখানেও অনেক ভূস্বামীর জন্ম হয়েছিল। ১৭৯৩ সালে ১২ নং রেজুলেশন অনুযায়ী তৎকালীন রংপুর জেলায় যে ২১টি থানা গঠিত হয়েছিল, তার মধ্যে বাগদুয়ার (বাগডোকড়া) থানার অধীনে ছিল ডোমার। ১৮৭৫ সালে নীলফামারী মহকুমা সৃষ্টি করা হলে বাগডোকড়ায় এর কার্যালয় স্থাপন করা হয়। যা ১৮৮২ সালের ১৮ মে নীলফামারীতে স্থানান্তরের পূর্ব পর্যন্ত সেখানে ছিল। ১৭৮৩ সালে কোম্পানি কর্তৃক আরোপিত দুরিভিলা ট্যাক্সের বিরুদ্ধে এ অঞ্চলের মানুষ বিদ্রোহী হয়ে উঠেছিল। ব্রিটিশের বিরুদ্ধে ফকির সন্যাসি বিদ্রোহের সময় মজনু শাহের ভাই মুসা শাহ বর্তমান কিশোরগঞ্জে আস্তানা গেড়েছিলেন। সিপাহীদের হাতে ভবানী পাঠকের মৃত্যু হলে বিদ্রোহ দমে যায়। ১৮৫৯-৬০ সালে এ অঞ্চলে নীল বিদ্রোহ ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পায়। ফকির সন্যাসি বিদ্রোহীরা নীল বিদ্রোহীদের সাথে যোগ দিলে নীলকরদের সঙ্গে বেশ কিছু সংঘর্ষ হয়। ১৮৭২ সালে সরকার নীককরদের দমনে ব্যবস্থা গ্রহণ করলে এ আন্দোলন প্রশমিত হয়। উপমহাদেশে ব্রিটিশ শাসনের অবসানের পর ১৯৫০ সালে জমিদারি উচ্ছেদ ও প্রজাস্বত্ব আইন পাশ হয়। এ আইন অনুসারে ১৯৫১ সালে জমিদারি প্রথা উচ্ছেদ হওয়ার পর ডোমার স্থানীয় সরকারের অধীনস্থ হয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ১৯৭১ সালের ৮ এপ্রিল পাকিস্তান সেনাবাহিনী এলাকাটি দখল করে নেয়। ১৯৭১ সালের ৪ ডিসেম্বর ভোরে মুক্তিযোদ্ধারা বোড়াগাড়ী হাসপাতালের উত্তর দিকে হলদিয়াবন ও বুদলিপাড় গ্রামে অবস্থান নিয়ে পাকসেনাদের প্রতিহত করে। এ যুদ্ধে তিন পাকসেনা মারা যায়। ৬ ডিসেম্বর ডোমার উপজেলা হানাদার মুক্ত হয়। বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভের পর ১৯৮৩ সালে ডোমার থানাকে উপজেলায় উন্নীত করা হয়। ভূগোল ডোমার উপজেলা ২৬°০২´ থেকে ২৬°১৯´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৮°৪৬´ থেকে ৮৮°৫৪´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ পর্যন্ত বিস্তৃত। নীলফামারী জেলাধীন উত্তর সীমান্তবর্তী একটি উপজেলা। এর আয়তন ২৫০.৮৪ বর্গ কিঃমিঃ৷ উপজেলাটি পলিময় এটেল মাটি দ্বারা গঠিত। ভৌগোলিকভাবে এটি তিস্তা প্লাবন ভূমিতে অবস্থিত হলেও হিমালয় পাদদেশীয় ভূমির কাছাকাছি হওয়ায় এর মাটিতে পলির পরিমাণ এর পার্শ্ববর্তী উপজেলার চেয়ে বেশি। উপজেলা সদর হতে দক্ষিণে নীলফামারী সদর, উত্তর-পূর্বে ডিমলা সদর, পশ্চিমে দেবীগঞ্জ সদর। এর উত্তরে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কুচবিহার জেলা, দক্ষিণে নীলফামারী সদর উপজেলা, পূর্বে ডিমলা ও জলঢাকা উপজেলা এবং পশ্চিমে দেবীগঞ্জ উপজেলা অবস্থিত। ডোমারের প্রধান নদী হল যমুনেশ্বরী তাছাড়া রয়েছে শালকি, বুড়িখরা এবং দেওনাই। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এ অঞ্চলের গড় উচ্চতা ৫৫ মিটারেরও অধিক। ডোমার উপজেলার তাপমাত্র গ্রীষ্মকালে ২৮ °সে থেকে ৩২ °সে-এর মধ্যে এবং শীতকালে ২০ °সে-এর মধ্যে থাকে। তবে, অনেক সময় শীতের প্রকোপ বেশি হলে ৩ °সে হতে পারে। এ অঞ্চলে মৌসুমী জলবায়ুর প্রভাব থাকায় প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়। এখানকার গড় বৃষ্টিপাত ১৯০০ মিলিমিটার বা তারও বেশি। তবে শুষ্ক মৌসুমে পানির ঘাটতি দেখা দেয়। অপর্যাপ্ত মৌসুমি বৃষ্টিপাত, উচ্চ তাপমাত্রা ও এইসাথে ভূগর্ভস্থ পানির অত্যধিক ব্যবহার এবং জলাশয় ভড়াটের ফলে খরার সূত্রপাতও ঘটে। জনপরিসংখ্যান ১৯৮১ সালে ডোমার উপজেলার জনসংখ্যা ছিল ১ লক্ষ ৫৭ হাজার। ২০১১ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ২,৪৯,৪২৯ জনে, যার মধ্যে পুরুষ ১২৫৩৩৮ জন এবং নারী ১২৪০৯১ জন। নারী পুরুষের লিঙ্গ অনুপাত ১০১। ডোমার উপজেলায় মোট ৫৮০২০টি পরিবার বসবাস করে। জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গকিলোমিটারে ১১৫৩ জন। উপজেলায় মোট ভোটার ১ লাখ ৬৭ হাজার ৯৪০ জন। প্রশাসনিক এলাকা ডোমার উপজেলা ১০টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা নিয়ে গঠিত। ইউনিয়নগুলো হল ডোমার সদর ইউনিয়ন, বোড়াগাড়ী ইউনিয়ন, জোড়াবাড়ী ইউনিয়ন, বামুনিয়া ইউনিয়ন, পাংগা মটকপুর ইউনিয়ন, সোনারায় ইউনিয়ন, হরিণচড়া ইউনিয়ন, ভোগডাবুড়ী ইউনিয়ন, কেতকীবাড়ী ইউনিয়ন ও গোমনাতি ইউনিয়ন। ১৮৭৫ সালে ডোমার থানা স্থাপনের পর ১৯৮৪ সালে এটিকে উপজেলায় উন্নীত করা হয়। সরকার কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত একজন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অধীনে উপজেলার প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালিত হয়। তিনিই উপজেলার প্রশাসনিক প্রধান। এছাড়া, জনগণের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত একজন উপজেলা চেয়ারম্যান জনগণের প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে মোঃ তোফায়েল আহমেদ ডোমার উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ডোমার উপজেলায় আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় একটি থানা বা পুলিশ স্টেশন এবং থানার অধীনে চিলাহাটিতে একটি পুলিশ ফাড়ি রয়েছে। এছাড়া একটি আনসার ও ভিডিপি এবং দুইটি ফায়ার সার্ভিসের কার্যালয় রয়েছে। বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ডিমলার সংসদীয় আসন নীলফামারী-১। ডিমলা ও ডোমার উপজেলা নিয়ে গঠিত এ আসনটি জাতীয় সংসদে ১২ নং আসন হিসেবে চিহ্নিত। নীলফামারী-১ আসনটি ১৯৮৪ সালে রংপুর-১ আসন থেকে সৃষ্টি করা হয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর ১৯৭৩ সালে প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রংপুর-১ আসনটি তৈরি করা হয়েছিল। শিক্ষা ২০১১ সালের তথ্য অনুযায়ী ডিমলা উপজেলার স্বাক্ষরতার হার ৪৮.৩%, যার মধ্যে পুরুষ ৫১.৪% এবং নারী ৪৫.২%। যেখানে জাতীয় স্বাক্ষরতার হার ৪৩.৭% ও জেলার স্বাক্ষতার হার ৪৪.৪%। ২০০১ সালে এ স্বাক্ষরতার হার ছিল ৪৪.৭%, পুরুষ ৫০.৮%, মহিলা ৩৮.৩%। উপজেলার ইউনিয়নগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি শিক্ষার ডোমার পৌরসভা এলাকায় ৬৪% এবং সবচেয়ে কম পাঙ্গা মটুকপুর ইউনিয়নে ৪২%। ডোমার উপজেলায় ৫ মহাবিদ্যালয়, ৪টি কারিগরি কলেজ, ১টি কৃষি কলেজ, ৪৪টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ৩টি ভোকেশনাল স্কুল, ১৪টি মাদ্রাসা রয়েছে। প্রাচীনতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ডোমার বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়, যা ১৯১৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে আছে ডোমার সরকারি কলেজ, চিলাহাটি সরকারি কলেজ, ডোমার বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়, ডোমার সরকারী বালিকা বিদ্যালয়, চিলাহাটি মার্চেন্ট উচ্চ বিদ্যালয়, শহীদ স্মৃতি আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এছাড়াও উল্লেখযোগ্য কিন্ডারগার্টেন স্কুল হলো ডোমার আইডিয়াল একাডেমী, প্রতিভা কিন্ডারগার্ডেন, ফুলকুঁড়ি একাডেমী ইত্যাদি। ভাষা ও সংস্কৃতি ডোমার উপজেলার মানুষের প্রধান ভাষা বাংলা। এখানকার অধিকাংশ মানুষ বাংলা ভাষার উপভাষা রংপুরী ভাষায় কথা বলে, তবে উপজেলায় বসবাস করা কিছুসংখ্যক বিহারি উর্দু ভাষায় এবং সাঁওতালরা সাঁওতালি ভাষায় কথা বলে। পল্লীগীতি গান ডোমারের লোকসংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এখানে বেশ কিছু মেলা ও উরশ পালিত হয়। শাহ কলন্দর এর মেলা ও উরশ উপজেলার সর্ববৃহৎ উৎসব। সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ডোমারে ক্লাব ১৭টি, লাইব্রেরি ২টি, সিনেমা হল ৪টি, নাট্যমঞ্চ ১টি, মহিলা সংগঠন ১টি, নাট্যদল ১টি, সাংস্কৃতিক সংগঠন ২টি। হাডুডু, ডাংগুলি ও মার্বেল খেলা ডোমারের সাধারণ মানুষের মধ্যে এক সময় খুব জনপ্রিয় ছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক কালে ক্রিকেট এই দুই খেলার জনপ্রিয়তা অনেক কমিয়ে দিয়েছে। এছাড়া ফুটবল, কাবাডি ও ভলিবলও এই উপজেলায় বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। অর্থনীতি ডোমার উপজেলা মূলত কৃষি প্রধান উপজেলা। এ উপজেলার ৬৮.০৪% জনগোষ্ঠীর আয়ের প্রধান উৎস কৃষি। প্রধান কৃষি ফসলের মধ্যে রয়েছে ধান, পাট, তামাক, আলু, পিঁয়াজ, আদা, হলুদ। পূর্বে এ অঞ্চলে কাউন, তিল, তিসি, ভাদই ধান ও গমের আবাদ করা হত। এছাড়াও এখানে কলা, লিচু, কাঁঠাল, আম, তরমুজ, পেঁপে ও খিরা বাণিজ্যিকভাবে চাষ হয়। ২০০১ সালের ভূমিজরিপ অনুসারে উপজেলার ৫১.১৯% পরিবার কৃষিজমির মালিক। কৃষি নির্ভর অর্থনীতির বাইরে মৎস্য, গবাদিপশু, হাঁস-মুরগির খামার, আসবাবপত্রের কারখানা, কুটিরশিল্প, মৃৎশিল্প, লৌহশিল্প প্রভৃতি এ উপজেলার অর্থনীতির অন্যতম চালিকা শক্তি। গোমনাতি ইউনিয়নের আমবাড়ীর হাট গরু ও সাইকেল ক্রয় বিক্রয়ের জন্য বিখ্যাত। ডোমার উপজেলায় কোন প্রাকৃতিক সম্পদ নেই। যোগাযোগ ডোমার উপজেলার যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম সড়কপথ। জেড ৫৭০৭ ডোমারকে নীলফামারী জেলা সদরের সাথে যুক্ত করেছে। এন৫১৭ (বাংলাদেশ) ও এন৫ (বাংলাদেশ) দ্বারা ডোমার ঢাকার সাথে যুক্ত। সড়ক পথে ডোমার থেকে ঢাকার দুরত্ব প্রায় ৪০০ কিলোমিটার, রংপুরের দুরত্ব ৬৫ কিলোমিটার, নীলফামারীর দুরত্ব ২০ কিলোমিটার। সমগ্র উপজেলায় ২২০ কিলোমিটার পাকা সড়ক আছে। সড়ক পথ ছাড়াও ডোমার রেলপথে ঢাকাসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানের সাথে যুক্ত। উপজেলায় ৩টি রেলওয়ে স্টেশন(ডোমার রেলওয়ে স্টেশন,চিলাহাটি রেলওয়ে স্টেশন ও মির্জাগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন) ও ২৫ কিলোমিটার রেলপথ রয়েছে। নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনটি ঢাকা হতে ডোমারের চিলাহাটি পর্যন্ত চলাচল করে। এছাড়াও খুলনা ও রাজশাহী এর সাথে রেলপথে যোগাযোগ ব্যবস্থা আছে। এ উপজেলায় কোন নৌপথ বা আকাশ পথ নেই। স্বাস্থ্য সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশের শিক্ষা ও স্বাস্থ্য হার তুলনামূলক কম হলেও এটি মূলত দারিদ্র্যতার সাথে সম্পর্কিত হওয়ায়, এর উন্নতির সাথে সাথে বর্তমানে স্বাস্থ্য সেবাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। ডোমার উপজেলায় অপুষ্টি, পরিবেশগত স্যানিটেশন সমস্যা, ডায়াবেটিস, সংক্রামক রোগ প্রভৃতি বেশি দেখা যায়। উপজেলায় ৫০ শয্যা বিশিষ্ট একটি সরকারি হাসপাতালের সাথে সাথে ২টি উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র, ৩৮টি কমিউনিটি ক্লিনিক ও ১০টি পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র রয়েছে। উল্লেখযোগ্য স্থান ডোমার উপজেলার উল্লেখযোগ্য স্থানের মধ্যে রয়েছে, হযরত শাহ কলন্দর (রা:) এর মাজার, ময়নামতির গড়, চিলাহাটি স্থলবন্দর, আঞ্চলিক বাঁশ গবেষণা ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, হৃদয়ে স্বাধীনতা ডোমার, ডোমার ফরেস্ট ও তার পাশে অবস্থিত গণকবর। উল্লেখযোগ্য ব্যক্তি হযরত শাহ কলন্দর (রা:) পীর ও কামেল এর আধ্যাত্মিক শক্তি ও ইসলামের মহান আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে এ অঞ্চলের বহু লোক ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে। উত্তরাঞ্চলের প্রথম পর্যায়ের ইসলাম প্রচারকদের মধ্যে তিনি উল্লেখযোগ্য। ডোমার উপজেলার সোনারায় ইউনিয়ন এ হযরত শাহ কলন্দর (রা:) এর মাজার অবস্থিত। এখানে প্রতিবছর ৯ ও ১০ মে (২৬ ও ২৭ বৈশাখ) দুইদিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হয় শাহ কলন্দর মেলা। আব্বাসউদ্দীন আহমদ, স্বাধীনতা পুরস্কার প্রাপ্ত পল্লীগীতি গায়ক জাহানারা ইমাম, শহীদ জননী খ্যাত লেখক ও ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি মোস্তফা কামাল, বাংলাদেশের ৯ম প্রধান বিচারপতি মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী –– জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব (জ. ১৯৬৮) আরও দেখুন বাংলাদেশের উপজেলাসমূহ বাংলাদেশের প্রশাসনিক অঞ্চল তথ্যসুত্র বহিঃসংযোগ ডোমার উপজেলা জাতীয় তথ্য বাতায়ন বিষয়শ্রেণী:নীলফামারী জেলার উপজেলা বিষয়শ্রেণী:ডোমার উপজেলা
ডোমার উপজেলা
ক্ষেতলাল উপজেলা বাংলাদেশের জয়পুরহাট জেলার একটি প্রশাসনিক এলাকা। অবস্থান ও আয়তন এই উপজেলার উত্তরে পাঁচবিবি উপজেলা, পূর্বে কালাই উপজেলা ও বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ উপজেলা, দক্ষিণে আক্কেলপুর উপজেলা ও বগুড়া জেলার দুপচাঁচিয়া উপজেলা ও পশ্চিমে জয়পুরহাট সদর উপজেলা ইতিহাস ১৭৯৩ সালে ক্ষেতলাল অবিভক্ত দিনাজপুর জেলার থানা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। ভৌগোলিক উপাত্ত ভাষা ও সংষ্কৃতি সবাই বাংলা ভাষায় কথা বলে। অত্র ইউনিয়নের অধিকাংশই মুসলিম, তবে কিছু সংখ্যক হিন্দু ধর্মাবলম্বীর লোকও রয়েছে। প্রশাসনিক এলাকা পৌরসভা ক্ষেতলাল পৌরসভা ইউনিয়ন সমূহ ক্ষেতলাল সদর ইউনিয়ন (অবলুপ্ত) আলমপুর ইউনিয়ন, ক্ষেতলাল তুলশীগংগা ইউনিয়ন বড়তারা ইউনিয়ন বড়াইল ইউনিয়ন, ক্ষেতলাল মামুদপুর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য শিক্ষা মাধ্যমিক শিক্ষায় মেয়েরা এগিয়ে আছে। কৃষি এখানে প্রচুর পরিমাণ আলু ও ধান উৎপাদিত হয়। এই থানায় উৎপাদিত ফসল অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখে। অর্থনীতি সারা বাংলাদেশের প্রায় এক তৃতীয়াংশ আলুর চাহিদা এখান থেকে যোগান দেওয়া হয়ে থাকে। যোগাযোগ ব্যবস্থা উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব দর্শনীয় স্থান ও স্থাপনা ১. হিন্দা মসজিদ ২.আছরাঙ্গা দিঘী ৩. বিলের ঘাট(রাখালীয়া ব্রীজ) ৪. উপজেলা চত্বর ৫. তুলসিগঙ্গা ও হারাবতি নদী ৬.ইটাখোলা হাট বিবিধ আরও দেখুন বাংলাদেশের উপজেলাসমূহ; জয়পুরহাট জেলা; রাজশাহী বিভাগ। তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ বিষয়শ্রেণী:জয়পুরহাট জেলার উপজেলা বিষয়শ্রেণী:রাজশাহী বিভাগের উপজেলা বিষয়শ্রেণী:ক্ষেতলাল উপজেলা
ক্ষেতলাল উপজেলা
সুন্দরগঞ্জ বাংলাদেশের গাইবান্ধা জেলার অন্তর্গত একটি প্রশাসনিক এলাকা। অবস্থান সুন্দরগঞ্জ উপজেলা ৪.২৬.৫২ বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে বিস্তৃত। এই উপজেলার উত্তরে পীরগাছা উপজেলা, উলিপুর উপজেলা, দক্ষিণে গাইবান্ধা সদর উপজেলা ও সাদুল্লাপুর উপজেলা, পূর্বে চিলমারী উপজেলা ও চর রাজিবপুর উপজেলা, পশ্চিমে পীরগাছা উপজেলা, মিঠাপুকুর উপজেলা ও সাদুল্লাপুর উপজেলা। প্রশাসনিক এলাকা সুন্দরগঞ্জ থানা ১৮৭৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৮৩ সালে এটি উপজেলায় রূপান্তরিত হয়। এটি ১টি পৌরসভা, ১৫টি ইউনিয়ন পরিষদ, ১১০টি মৌজা এবং ১৮৯টি গ্রাম নিয়ে গঠিত। এদের মধ্যে সুন্দরগঞ্জ শহর এলাকা দুটি মৌজা নিয়ে গঠিত। শহরটি ২০০৩ সালে পৌরসভায় রূপান্তরিত হয়। শহরের আয়তন ৫ বর্গকি.মি.। ইউনিয়নসমূহ : বামনডাঙ্গা ইউনিয়ন, সোনারায় ইউনিয়ন, তারাপুর ইউনিয়ন, বেলকা ইউনিয়ন, দহবন্দ ইউনিয়ন, সর্বানন্দ ইউনিয়ন, রামজীবন ইউনিয়ন, ধোপাডাঙ্গা ইউনিয়ন, ছাপরহাটী ইউনিয়ন, শান্তিরাম ইউনিয়ন, কঞ্চিবাড়ী ইউনিয়ন, শ্রীপুর ইউনিয়ন, চন্ডিপুর ইউনিয়ন, কাপাসিয়া ইউনিয়ন, হরিপুর ইউনিয়ন ইতিহাস সুন্দরগঞ্জ'র নাম করণের সঠিক কোন তথ্য না থাকলেও বিভিন্ন জনশ্রুতি বা কিংবদিন্তর মাধ্যমে "সুন্দরগঞ্জ" নামটা পাওয়া যায়। এই জনপদের উপর দিয়ে তিস্তা, ব্রক্ষপুত্র নদ ও ঘাঘট নদী প্রবাহিত। কথিত আছে, নদীর পার্শ্বে একটি গঞ্জ বা বাজার অবস্থান করতো। এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য এই গঞ্জর নাম ডাক ছিল। গঞ্জের লোকজনের আচার-আচারণ, স্বভাব-চরিত্র এবং চেহারা সুন্দর থাকায় এ জনপদের নাম হয় সুন্দরগঞ্জ। আরেকটি কিংবদিন্ততে বলা হয়েছে, তাজ হাটের রাজা গোপাল রায় বাহাদুরের পুত্র ছিল সুন্দর লাল বাহাদুর। তিনি খাজনা আদায়ের জন্য অত্র এলাকায় আসতেন ও মেলার প্রচলন করেন। রাজার পুত্রের নাম অনুসারে এলাকার নাম হয় সুন্দরগঞ্জ। আবার, অনেকের মতে, ষাটের দশকের প্রথম দিকে এ এলাকায় ১৩টি ইন্দিরা ছিল এবং এখানকার পাড়ায় সুন্দর সুন্দর মহিলা থাকত। তারা এই ইন্দিরাগুলোতে গোসল করত। এছাড়া প্রতি বছর মহররম মাস উদযাপনের লক্ষে বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত লোকজনের সমারোহ ঘটত। উক্ত লোক সমাগম বা লোকের সমারোহকে গঞ্জ এবং সুন্দরী মহিলাদের বাস এর সমন্বয়ে এ উপজেলার নাম করন হয়েছে সুন্দরগঞ্জ। জনসংখ্যার উপাত্ত জনসংখ্যা ৪,৬১,৯২০; পুরুষ ২,২৬,১১৮ (৪৮.৯৫%), মহিলা ২,৩৫,৮০২ (৫১.০৪%), মুসলিম ৮৯.৯৯%, হিন্দু ৯.৩০% এবং অন্যদের ০.৭১% । শিক্ষা সাক্ষরতার হার ৭৮.১৩% (২০১১ সালের শুমারী)। পুরুষ ৮২.৬৩% এবং মহিলা ৭৩.৬৩%। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কলেজ : ১৭টি, সুন্দরগঞ্জ উপজেলার একমাত্র সরকারি কলেজ সুন্দরগঞ্জ ডি ডব্লিউ সরকারি কলেজ [] সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়:২৫৯টি। অর্থনীতি প্রধান পেশাসমূহঃ কৃষি ৪৮.৫৭%, কৃষি শ্রমিক ২৯.৬৪%, দিনমজুরি শ্রমিক ২.০৬%, বাণিজ্য ৬.৬৩.%, সেবা ২.৫৯%, মৎস্য ১.২৫%, অন্যান্য ৯.২৬%। দর্শনীয় স্থান বামনডাঙ্গা জমিদার বাড়ি স্বাস্থ্য কাঠামো উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স]] ১, ইউনিয়ন সাব সেন্টার ৩, ফ্যামিলি ওয়েলফেয়ার সেন্টার ৪, কমুউনিটি ক্লিনিক ৫৫ আরও দেখুন গাইবান্ধা জেলা; রংপুর বিভাগ। তথ্যসূত্র 1. http://sundarganj.gaibandha.gov.bd/site/page/4b897eb7-18fd-11e7-9461-286ed488c766/%E0%A6%B8%E0%A7%81%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A6%B0%E0%A6%97%E0%A6%9E%E0%A7%8D%E0%A6%9C%20%E0%A6%89%E0%A6%AA%E0%A6%9C%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%B0%20%E0%A6%87%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%B8 বহিঃসংযোগ বিষয়শ্রেণী:গাইবান্ধা জেলার উপজেলা বিষয়শ্রেণী:সুন্দরগঞ্জ উপজেলা
সুন্দরগঞ্জ উপজেলা
জিনেদিন ইয়াজিদ জিদান (, , ; জন্ম: ২৩ জুন ১৯৭২) হলেন একজন ফরাসি পেশাদার ফুটবল খেলোয়াড় এবং ম্যানেজার। তিনি বর্তমানে স্পেনীয় পেশাদার ফুটবল লীগের শীর্ষ স্তর লা লিগার ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদে ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি তার খেলোয়াড়ি জীবনের অধিকাংশ সময় রিয়াল মাদ্রিদ, ইয়ুভেন্তুস, বর্দো এবং ফ্রান্স জাতীয় দলের হয়ে একজন মধ্যমাঠের খেলোয়াড় হিসেবে খেলেছেন। তিনি মূলত একজন আক্রমণাত্মক মধ্যমাঠের খেলোয়াড় হিসেবে খেললেও মাঝেমধ্যে বাম-পার্শ্বীয় মধ্যমাঠের খেলোয়াড় হিসেবে খেলেছেন। তিনি প্রায়ই সর্বকালের সেরা খেলোয়াড় হিসেবে আখ্যায়িত হয়ে থাকেন। জিদান একজন উচ্চস্তরের প্লেমেকার, যিনি তার খেলোয়াড়ি সৌন্দর্য, দূরদৃষ্টি, বল পাস, বল নিয়ন্ত্রণ ও কৌশলের জন্য প্রসিদ্ধ। তিনি প্রথম আরব দেশ হিসেবে ২০২২ ফিফা বিশ্বকাপ মঞ্চায়নে কাতারের সফল নিলামডাকের প্রতিনিধি ছিলেন। ১৯৮১–৮২ মৌসুমে, ফরাসি ফুটবল ক্লাব ফোরেস্তার যুব পর্যায়ের হয়ে খেলার মাধ্যমে জিদান ফুটবল জগতে প্রবেশ করেন এবং পরবর্তীতে সেঁত-অঁরি, সেপ্তেমেস-লে-ভালোঁ এবং কানের হয়ে খেলার মাধ্যমে ফুটবল খেলায় বিকশিত হয়েছেন। ১৯৮৯–৯০ মৌসুমে, কানের মূল দলের হয়ে খেলার মাধ্যমে তিনি তার জ্যেষ্ঠ পর্যায়ের খেলোয়াড়ি জীবন শুরু করেন। কানের হয়ে ৩ মৌসুম খেলার পর, তিনি বর্দোয় যোগদান করেন, যেখানে তিনি ৪ মৌসুমে ১৩৯ ম্যাচে ২৮টি গোল করেছেন। অতঃপর তিনি ৩.৫০ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে ইতালীয় ক্লাব ইয়ুভেন্তুসে যোগদান করেন, যেখানে মার্চেল্লো লিপ্পির অধীনে তিনি ইয়ুভেন্তুসের হয়ে একটি উয়েফা সুপার কাপ শিরোপা জয়লাভ করেছেন। ইয়ুভেন্তুসের হয়ে ৫ মৌসুমে সকল প্রতিযোগিতায় ২০৯ ম্যাচে ৩১টি গোল করার পর, প্রায় ৭৭.৫০ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে স্পেনীয় ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদে যোগদান করেন, যেখানে তিনি ১টি লা লিগা এবং ১টি উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লীগ শিরোপা জয়লাভ করেছেন। রিয়াল মাদ্রিদে ৫ মৌসুম অতিবাহিত করার পর তিনি অবসর গ্রহণ করেছেন। ৬ বছর যাবত ফ্রান্সের বয়সভিত্তিক দলের হয়ে খেলার পর, ১৯৯৪ সালে, জিদান ফ্রান্সের হয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অভিষেক করেছিলেন, যেখানে তিনি ১০৮ ম্যাচে ৩১টি গোল করেছেন। তিনি ফ্রান্সের হয়ে ৩টি ফিফা বিশ্বকাপ (১৯৯৮, ২০০২ এবং ২০০৬) এবং ৩টি উয়েফা ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপে (১৯৯৬, ২০০০ এবং ২০০৪) অংশগ্রহণ করেছেন, যার মধ্যে ১৯৯৮ সালে এমে জাকের অধীনে ফিফা বিশ্বকাপের শিরোপা জয়লাভ করেছেন। খেলোয়াড়ি জীবনের ইতি টানার পর ২০১৮ সালে, জিদান রিয়াল মাদ্রিদের রিয়াল মাদ্রিদ কাস্তিয়ার ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করার মাধ্যমে ম্যানেজার হিসেবে ফুটবল জগতে অভিষেক করেন। রিয়াল মাদ্রিদ কাস্তিয়ায় ২ মৌসুমের জন্য ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করার পর তিনি রিয়াল মাদ্রিদে ম্যানেজার হিসেবে পুনরায় ফিরে আসেন; রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে ম্যানেজার হিসেবে ২ মৌসুমে তিনি ৯টি শিরোপা জয়লাভ করেছেন। রিয়াল মাদ্রিদের হয়েই ম্যানেজার হিসেবে তিনি সেরা সময় অতিবাহিত করেছেন, যেখানে তিনি প্রায় ৭০ শতাংশ ম্যাচ জয়লাভ করেছেন। তার এই সাফল্য ২০১৭ সালে তাকে দ্য বেস্ট ফিফা ফুটবল পুরস্কার জয়লাভ করতে সাহায্য করেছিল। ২০১৮ সালে ম্যানেজারের পদ ছেড়ে দেওয়ার পর, ২০১৯ সালের মার্চ মাসে তিনি দ্বিতীয় দফায় রিয়াল মাদ্রিদের ম্যানেজার হিসেবে যোগদান করেন। ব্যক্তিগতভাবে, জিদান বেশ কিছু পুরস্কার জয়লাভ করেছেন, যার মধ্যে ১৯৯৮ সালে বালোঁ দর এবং ২০০১–০২ মৌসুমে দোন বালোন পুরস্কার জয় অন্যতম। এছাড়াও তিনি ফিফার প্রতিষ্ঠার শতবর্ষ উপলক্ষে প্রকাশিত ফিফা ১০০ তালিকায় স্থান পেয়েছেন। দলগতভাবে, খেলোয়াড় হিসেবে জিদান সর্বমোট ১৫টি শিরোপা জয়লাভ করেছেন, যার মধ্যে ১টি বর্দোর হয়ে, ৬টি আয়াক্সের হয়ে, ৬টি ইয়ুভেন্তুসের হয়ে, ৬টি রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে এবং ২টি ফ্রান্সের হয়ে জয়লাভ করেছেন। অন্যদিকে, ম্যানেজার হিসেবে, তিনি ১১টি শিরোপা জয়লাভ করেছেন; যার সবগুলো রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে জয়লাভ করেছেন। ক্লাব কর্মজীবন প্রারম্ভিক কর্মজীবন, কান এবং বোরেদক্স (১৯৯৮-১৯৯৬) খুব অল্প বয়সে ইউএস সেইন্ট হেনরি ক্লাবের জুনিয়র টিম এ জিদানের ফুটবল ক্যারিয়ার শুরু হয়। এটি মার্সাইল জেলার লা ক্যাস্তেইল্যান এর একটি স্থানীয় ক্লাব। ১৪ বছর বয়সে জিদান সেপ্টেমস ত্যাগ করেন এবং লিগ চ্যাম্পিয়নশীপ এর বাছাই পর্বে অংশগ্রহণ করেন।এখানে এসেই তিনি সর্বপ্রথম এ এস কান এর রিক্রুটার জিন ভ্যারার্ড এর চোখে পড়েন।এরপর জিদান ছয় সপ্তাহ থাকার উদ্দেশ্যে কানে যান কিন্তু শেষ পর্যন্ত পেশাদারদের সাথে খেলার জন্য পরবর্তী চার বছর তিনি সেখানেই থেকে যান। সবাইকে তাক লাগিয়ে জিদান মাত্র ১৭ বছর বয়সে প্রথম বিভাগ ম্যাচ খেলেন। এরপর আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি। কান এ মিডফিল্ডার হিসেবে খেলা জিদান তার প্রথম গোলটি করেন ৮ ফেব্রুয়ারি, ১৯৯১ সালে।ঐ একই বছরে তার ক্লাব উয়েফা লিগ এর বাছাই পর্বে উত্তীর্ণ হওয়াতে বছরটি তার জন্য স্মরনীয় হয়ে থাকে।কান এ জিদানের দ্বিতীয় সেসন ততোটা আশাপ্রদ ছিলোনা।কিন্তু খেলোয়াড়ি জীবনের বাইরে এ সময়েই তার জীবন সঙ্গিনী স্প্যানিশ নৃত্যশিল্পী ভেরোনিকার সাথে জিদানের প্রথম দেখা হয়। পরবর্তী ৪বছর জিদান এফসি গিরোন্ডিন্স দ্য বোরডিক্স ক্লাবে কাটান এবং ক্লাবটিকে ১৯৯৫ সালের ইন্টারটোটো কাপ জয় এবং ৯৬ এর উয়েফা কাপে দ্বিতীয় স্থান দখল করতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন।বোরডিক্স এ খেলার সময়েই প্রথম বিজেন্তে লিজারাজু এবং ক্রিস্টোফার ডুগারির সাথে তিনি মিডফিল্ড এ একসাথে খেলেন।পরবর্তিতে এই মিডফিল্ডারত্রয়ী ফ্রান্স জাতীয় দলেও একসাথে খেলেন এবং ১৯৯৮ সালের ফুটবল বিশ্বকাপ জয়ে অসামান্য ভুমিকা রাখেন।১৯৯৬ সালে জিদান ৳৩ মিলিয়ন ট্রান্সফার ফির বিনিময়ে ইতালির জুভেন্টাস এফসি ক্লাবে যোগ দেন। তুরিন এবং মাদ্রিদ (১৯৯৬-২০০৬) জুভেন্টাস এ থাকাকালীন সময়ে দিদিয়ের ডেসচ্যাম্পস,আলসেন্দ্রো ডেল পিয়েরো এবং এডগার ডেভিডস এর পাশাপাশি জিদান মার্সেলো লিপ্পির দলটির অন্যতম প্রধান খেলোয়াড় এবং প্লেমেকার ছিলেন।তার দল এই সময়ে দুইবার সিরিএ শিরোপা এবং ১৯৯৭ ও ১৯৯৮ সালে উপর্যুপুরি দুইবার উয়েফা লীগের ফাইনাল এ ওঠে।কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক ভাবে দুইবারই স্প্যানিশ জায়ান্ট রিয়াল মাদ্রিদের কাছে তারা হেরে বসে। ২০০১ সালে জিদান জুভেন্টাস থেকে রেকর্ড পরিমাণ ৳৬৬ মিলিয়ন ট্রান্সফার ফির বিনিময়ে ৪ বছর মেয়াদে রিয়াল মাদ্রিদ এ যোগ দেন।গ্লাসগোর হ্যাম্পডেন পার্কে অনুষ্ঠিত ২০০১-২০০২ চ্যাম্পিয়ন্স লীগের ফাইনালে জার্মান ক্লাব বেয়ার লেভারকুসেনের বিরুদ্ধে রিয়াল মাদ্রিদ ২-১ গোল ব্যবধানে জয়ী হয় যাতে অসাধারণ ভলি থেকে করা জয়সূচক গোলটি আসে জিদানের পা থেকে। ২০০৬ সালের ৭ মে সান্টিয়াগো বার্নাবু স্টেডিয়ামে রিয়াল মাদ্রিদের জার্সি গায়ে জিদান তার শেষ ম্যাচটি খেলেন।কালজয়ী এই খেলোয়াড়ের সম্মানে সেদিন তার সতীর্থরা ক্লাব লোগোর নিচে "জিদান ২০০১-২০০৬" লিখা সম্বলিত বিশেষ জার্সি পরে খেলতে নামেন।ভিলারিয়াল ক্লাবের বিরুদ্ধে খেলা এই ম্যাচটি ৩-৩ গোলে ড্র হয় যার দ্বিতীয় গোলটি ছিলো জিদানের করা।ম্যাচ শেষে জিদান ভিলারিয়াল মিডফিল্ডার ও আর্জেন্টাইন তারকা জুয়ান রোমান রিকুয়েমের সাথে তার জার্সি বদল করেন।খেলার পুরোসময় জুড়ে রিয়াল মাদ্রিদ সমর্থকদের মুর্হূমুহূ করতালিতে তিনি অভিনন্দিত হন এবং খেলা শেষে হাজারো ভক্তের ভালোবাসায় সিক্ত জিদান অশ্রুসিক্ত নয়নে রিয়াল মাদ্রিদকে বিদায় জানান। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার জিদান দ্বৈত নাগরিকত্বের অধিকারী ছিলেন(ফ্রান্স এবং আলজেরিয়া)।সেই সুবাদে তিনি চাইলে আলজেরিয়া জাতীয় ফুটবল দলের হয়েও খেলতে পারতেন। কিন্তু আলজেরিয়া ফুটবল দলের তদানীন্তন কোচ আবদেল হামিদ কারমালি যথেষ্ট গতিসম্পন্ন নয় এই অজুহাতে তাকে জাতীয় দলে নেয়া থেকে বিরত থাকেন। জিদান ১৯৯৪ সালের ১৭ আগস্ট ফরাসি জাতীয় দলের জার্সি গায়ে তার প্রথম ম্যাচটি খেলেন। চেক প্রজাতন্ত্র জাতীয় দলের বিরুদ্ধে অনুষ্ঠিত এই প্রীতি ম্যাচটিতে জিদান ৬৩ মিনিটের মাথায় যখন বদলি খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামেন ফ্রান্স তখন ২-০ গোলে পিছিয়ে ছিল। জিদান আসার পর তিনি দুইটি গোল করেন এবং ম্যাচটি শেষ পর্যন্ত ২-২ গোলে ড্র হয়। এই সময়ে ফরাসি দলের ম্যানেজার আইমে জ্যাক ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের তৎকালীন ফুটবল তারকা এরিক ক্যান্টোনাকে কেন্দ্র করে দল সাজাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ক্যান্টোনার উপরে তখন একবছরের নিষেধাজ্ঞা থাকায় প্লেমেকার হিসেবে তিনি জিদানকে খেলান। তার এই খেলোয়াড় নির্বাচনের ব্যাপারে ভক্ত এবং ফুটবল বোদ্ধাদের ব্যাপক সমালোচনা স্বত্বেও ফ্রান্স ইউরো ১৯৯৬ এর সেমিফাইনালে ওঠে এবং কিন্তু চেক প্রজাতন্ত্রের কাছে পেনাল্টিতে ৬-৫ গোলে হেরে যায়। ১৯৯৮ বিশ্বকাপ জিদান ১৯৯৮ সালের ফিফা বিশ্বকাপজয়ী ফ্রান্স জাতীয় দলের সদস্য ছিলেন। সৌদি আরবের বিপক্ষে বিশ্বকাপে ফ্রান্সের দ্বিতীয় ম্যাচে সৌদি অধিনায়ক ফুয়াদ আমিনকে থুথু মারার অপরাধে জিদানকে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয় এবং পরবর্তী দুই ম্যাচের জন্য তিনি নিষিদ্ধ হন।এ সময়ে যারা তার পাশে ছিলেন তাদের ভাষ্যমতে আমিন জিদানকে উদ্দেশ্য করে গালিগালাজ করেছিলেন। এই ঘটনাটি ২০০৬ বিশ্বকাপের ফাইনালে ইতালীর বিপক্ষে পাওয়া লাল কার্ড এর ঘটনার সাথে যথেষ্ট সাদৃশ্যপূর্ণ। কোয়ার্টার ফাইনালে ইতালির বিপক্ষে পেনাল্টি থেকে একটি গোল করার পর জিদান টুর্নামেন্ট ফাইনালে ব্রাজিলের বিপক্ষে তার অপর দুইটি গোল করেন। দুটি গোলই তিনি প্রথমার্ধে কর্নার থেকে পাওয়া বল হেড করার মাধ্যমে করেন।এই ম্যাচটিতে ফ্রান্স ৩-০ গোলে ব্রাজিলকে পরাজিত করে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ জয়ের গৌরব অর্জন করে।জিদান ম্যান অব দা ম্যাচ নির্বাচিত হন। ২০০০ ইউরোপীয়ান চ্যাম্পিয়নশীপ অসাধারণ ফুটবল শৈলী ও গুরুত্বপুর্ণ গোল করার মাধ্যমে ইউরো ২০০০ এ ফ্রান্স জাতীয় দলকে ফাইনালে তুলতে জিদান অসামান্য অবদান রাখেন।তিনি স্পেনের বিপক্ষে সরাসরি ফ্রি কিক থেকে একটি এবং সেমিফাইনালে পর্তুগালের বিপক্ষে পেনাল্টি থেকে গোল্ডেন গোল করে দলকে ফাইনালে তোলেন।ফাইনালে ফ্রান্স ইতালিকে পরাজিত করে ফুটবল ইতিহাসে ২৬ বছর পর প্রথমবারের মত একই সাথে বিশ্বকাপ ও ইউরোপীয়ান কাপ উভয় শিরোপা অর্জনের অসামান্য গৌরব অর্জন করে (১৯৭৪ সালে জার্মানি সর্বশেষ এ গৌরব অর্জন করেছিলো)।ফলশ্রুতিতে ফ্রান্স বিশ্ব র‌্যাংকিং এ ১ নম্বর অবস্থানে চলে আসে। ইনজুরি,অবসর গ্রহণ ও পুনরায় প্রত্যাবর্তন উরুতে ইনজুরির জন্য জিদান ২০০২ সালে অনুষ্ঠিত ফিফা বিশ্বকাপের প্রথম দুই ম্যাচে নিয়মিত একাদশের বাইরে থাকেন।তার অনুপস্থিতিতে খেলা বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে ফ্রান্স আফ্রিকার নবাগত দল সেনেগালের বিরুদ্ধে ১-০ গোলে বিস্ময়করভাবে পরাজিত হয়। ইনজুরি থেকে ফিরে জিদান তৃতীয় ম্যাচে খেলতে নামলেও তিনি তার স্বাভাবিক খেলা খেলতে ব্যর্থ হন।ফলশ্রুতিতে জিদান ও তার দল বিশ্বকাপ আসরের প্রথম রাউন্ড থেকেই বিদায় নেয়। ফলশ্রুতিতে জিদান ও তার দল কোন গোল না করেই বিশ্বকাপ আসরের প্রথম রাউন্ড থেকেই বিদায় নেয় এবং বিশ্বকাপ শিরোপা অক্ষুণ্ণ রাখতে ব্যর্থ হয়। ইউরো ২০০৪ এ জিদান ও তার দলের শুরুটা ভালোই হয়েছিল।গ্রুপ পর্যায়ের ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথমে পিছিয়ে থেকেও জিদানের নৈপুণ্যে ফ্রান্স শেষ পর্যন্ত জয়ী হয়। এ ম্যাচটিতে জিদান দুটি গোল করেন যার একটি ফ্রি কিক ও আরেকটি পেনাল্টি থেকে করা।২০০৪ সালের ১২ আগস্ট কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্স পরবর্তী সময়ে ইউরো ২০০৪ শিরোপা জয়ী গ্রিস এর কাছে অপ্রত্যাশিত ভাবে হেরে যায়।এর পর পরই জিদান আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসরের ঘোষণা দেন। পরবর্তীকালে ২০০৬ সালের বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে ফ্রান্স যখন চূড়ান্ত পর্বে উঠতে হিমশিম খাচ্ছিল,২০০৫ সালের ৩ আগস্ট জিদান আবার আন্তর্জাতিক ফুটবলে প্রত্যাবর্তনের ঘোষণা দেন এবং ফ্রান্স জাতীয় দলের অধিনায়ক নিযুক্ত হন। ২০০৫ সালের ৩ সেপ্টেম্বর বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে ফ্যারো দ্বীপপুঞ্জের বিপক্ষে ৩-০ গোলে জয়ের মধ্য দিয়ে জিদান প্রতিযোগিতামূলক ফুটবলে দ্বিতীয় বারের মতো প্রত্যাবর্তন করেন এবং ফ্রান্স গ্রপ চ্যাম্পিয়ন হিসেবে বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে। রিয়াল মাদ্রিদে এক মৌসুম ইনজুরিতে কাটানোর পর ২০০৬ সালের ২৫ এপ্রিল জিদান ২০০৬ বিশ্বকাপের পর পরই অবসর নেবার কথা ব্যাক্ত করেন। ২০০৬ সালের ২৭ মে জিদান ফ্রান্স জাতীয় দলের হয়ে তার ১০০ তম ম্যাচ খেলেন।প্যারিসের সেইন্ট ডেনিসের স্টাডে দ্য ফ্রান্স স্টেডিয়ামে মেক্সিকোর বিপক্ষে অনুষ্ঠিত এ ম্যাচটিতে ফ্রান্স ১-০ তে জয়ী হয়।স্টেডিয়ামটিতে এটিই ছিলো তার শেষ ম্যাচ এবং দিদিয়ের ডেসচ্যাম্প, মার্সেই দেশাই এবং লিলিয়ান থুরামের পরে চতুর্থ ফরাসি খেলোয়াড় হিসেবে জিদান ১০০ টি ম্যাচ খেলার গৌরব অর্জন করেন। ২০০৬ বিশ্বকাপ right|thumb|200px|একটি ফরাসি মেয়ে "জিজু" কে উদযাপন করছে ২০০৬ ফিফা বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্যায়ের দ্বিতীয় ম্যাচে দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে খেলার একবারে শেষ মুহূর্তে এক কোরিয়ান ডিফেন্ডারকে ধাক্কা দেয়ার অপরাধে জিদান হলুদ কার্ড দেখেন। টুর্নামেন্টের উপর্যুপরি দুই ম্যাচে হলুদ কার্ড পাওয়ায় জিদান গ্রুপের তৃতীয় এবং শেষ ম্যাচের জন্য সাসপেন্ড হন। জিদানকে ছাড়াই গ্রুপের তৃতীয় ম্যাচে ফ্রান্স টোগোর বিপক্ষে ২-০ গোলে জয়ী হয়। এর ফলে ফ্রান্স নকআউট পর্বে উত্তীর্ণ হয় এবং জিদান পরবর্তী ম্যাচগুলোতে দলের জন্য কিছু করার সুযোগ পান। রাউন্ডের ১৬তম ম্যাচে জিদান স্পেনের বিপক্ষে খেলায় আবার মাঠে ফেরেন।জিদানের ফ্রি কিক থেকে পেনাল্টি এরিয়াতে পাওয়া বলে প্যাট্রিক ভিয়েরা ম্যাচের দ্বিতীয় গোলটি করেন।এরপর খেলার অতিরিক্ত সময়ে (স্টপেজ টাইম) জিদান ম্যাচের শেষ গোলটি করেন এবং ফ্রান্স ৩-১ এ জয়ী হয়। এই জয়ের ফলে ফ্রান্স কোয়ার্টার ফাইনালে উত্তীর্ণ হয় এবং বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিলের মুখোমুখি হয়। জিদানের ফ্রি কিক থেকে পাওয়া বলে ম্যাচের একমাত্র গোলটি আসে ফরাসি স্ট্রাইকার থিয়েরি অরির পা থেকে এবং ম্যাচটিতে ফ্রান্স ১-০ গোলে জয়ী হয়।খেলার পুরোটা সময়জুড়ে ব্রাজিলিয়ানদের উপর ফরাসিদের একচ্ছত্র আধিপত্য বজায় থাকে। জিদানের নেতৃত্বে ফরাসি মধ্যভাগ প্রতিপক্ষের সীমানায় যেখানে একের পর এক আক্রমণ রচনা করেছে তার বিপরীতে ব্রাজিলিয়ানরা ম্যাচের পুরোসময়ের মধ্যে মাত্র একবারের জন্য বিপক্ষ সীমানায় সত্যিকারের আক্রমণ চালাতে পেরেছিলো। ম্যাচের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত জিদান তার পায়ের মায়াবী কারুকার্যে পুরো ফুটবল বিশ্বকে মোহাবিষ্ট করে রাখে। ফিফার টেকনিক্যাল স্টাডি গ্রুপের বিবেচনায় জিদান ম্যাচটিতে ম্যান অব দ্য ম্যাচ নির্বাচিত হন। এর চারদিন পর অনুষ্ঠিত সেমিফাইনালে ফ্রান্স পর্তুগালের মুখোমুখি হয়।জিদান পেনাল্টি থেকে ম্যাচের একমাত্র গোলটি করেন এবং পর্তুগালকে হারিয়ে ফ্রান্স ফাইনালে উত্তীর্ণ হয়। ২০০৬ সালের ৯ জুলাই ফ্রান্স ফাইনালে ইতালির মুখোমুখি হয়। এটি ছিলো জিদানের জন্য দ্বিতীয় এবং শেষ বিশ্বকাপ ফাইনাল। ম্যাচের সপ্তম মিনিটের মাথায় জিদান পেনাল্টি থেকে গোল করে ফ্রান্সকে ১-০ তে এগিয়ে দেন।এরই সাথে পেলে,পল ব্রাইটনার এবং ভাভার পরে মাত্র চতুর্থ খেলোয়াড় হিসেবে দুটি বিশ্বকাপ ফাইনালে গোল করার বিরল সম্মান অর্জন করেন। একই সাথে জিদান বিশ্বকাপ ফাইনালে সর্বোচ্চ গোলদাতা হিসেবে যুগ্মভাবে ভাভার সাথে প্রথম স্থানে চলে আসেন।খেলার ১১০ মিনিটের মাথায় জিদান লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন(নিচে দেখুন) ফলে অতিরিক্ত সময়ের পরেও ফলাফল ১-১ থাকায় অনুষ্ঠিত পেনাল্টি শুটআউটে জিদান অংশ নিতে পারেননি।টাইব্রেকারে ইতালি ৫-৩ গোলে ফ্রান্সকে পরাজিত করে ২০০৬ ফুটবল বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হয়।ফাইনালে জিদানের অসংলগ্ন আচরণের জন্য নানা সমালোচনা স্বত্বেও জিদান ২০০৬ বিশ্বকাপের সেরা খেলোয়াড় হিসেবে গোল্ডেন বল লাভ করেন। লাল কার্ড প্রাপ্তি জিদান ফুটবল বিশ্বে শান্ত,বিনয়ী এবং লাজুক হিসেবেই পরিচিত।তদুপরি খুব অল্প সময়ই তিনি মাঠে উত্তেজিত আচরণ প্রকাশ করেছেন।১৯৯৮ এবং ২০০৬ বিশ্বকাপের দুটো লাল কার্ড প্রাপ্তি ছাড়াও ২০০০/২০০১ সালে অনুষ্ঠিত চ্যাম্পিয়ন্স লিগে জুভেন্টাস বনাম হামবুর্গ এসভি ম্যাচে জোসে কিয়েন্তেকে ঢুঁ মেরে জিদান লাল কার্ড পেয়েছিলেন। জিদান তার ফুটবল ক্যারিয়ারে সর্বমোট ১৪বার লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন। জিদান বিশ্বের চারজন খেলোয়াড়ের একজন যিনি বিশ্বকাপ ফাইনালে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছেড়েছেন এবং দুইজন খেলোয়াড়ের একজন যিনি দুটি আলাদা বিশ্বকাপে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছেড়েছেন(অন্যজন হচ্ছেন ক্যামেরুনের রিগোবার্ট সং)। মাতারাজ্জির সাথে বিবাদ ২০০৬ বিশ্বকাপ ফুটবলের ফাইনালে ইতালির বিপক্ষে ১১০ মিনিটের মাথায় জিদান ইতালীয় ডিফেন্ডার মার্কো মাতারাজ্জির বুকে মাথা দিয়ে ঢুঁ মারার অপরাধে লাল কার্ড দেখেন।ঘটনার শুরু হয় জিদান এবং মাতারাজ্জির মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের মধ্য দিয়ে।এরপর জিদান যখন মাতারাজ্জির কাছ থেকে চলে আসতে শুরু করেন তাকে উদ্দেশ্য করে মাতারাজ্জি আবার কিছু কথা বলেন।এর প্রতিক্রিয়া হিসেবে জিদান হঠা করে ঘুরে দাড়ান,কিছুটা দৌড়ে এসে সরাসরি মাতারাজ্জির বুকে মাথা দিয়ে ঢুঁ মারেন।ফলশ্রুতিতে মাতারাজ্জি বুক চেপে ধরে মাটিতে পরে যান।ঘটনার পরবর্তীকালে খেলা যদিও থেমে যায় কিন্তু ব্যাপারটি ঘটেছিলো রেফারি হোরাসিও এলিযোন্ডোর চোখের আড়ালে।ম্যাচ কর্মকর্তাদের রিপোর্ট অনুযায়ী, চতুর্থ কর্মকর্তা লুইস মেদিনা ক্যান্তালেযো ইয়ারফোনের মাধ্যমে রেফারিকে বিষয়টি অবহিত করেন।পরবর্তীকালে সহকারী রেফারির সাথে আলোচনা করে বিষয়টি নিশ্চিত হবার পর এলযোন্ডো জিদানকে লাল কার্ড প্রদর্শন করেন এবং তাকে মাঠের বাইরে পাঠিয়ে দেন। প্রতিক্রিয়া বিশ্বকাপ ফাইনালের পর ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট জ্যাক শিরাক জিদানকে জাতীয় বীর হিসেবে আখ্যায়িত করেন এবং উদার হৃদয়ের মানুষ বলে মন্তব্য করেন। শিরাক পরবর্তীকালে জিদানের উক্ত ঘটনাকে অমার্জনীয় বলে অভিহিত করলেও তিনি আরো বলেন যে এর জন্য জিদানকে প্ররোচিত করা হয়েছিল। আলজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট আব্দেল আজিজ বুটেফ্লিকা একটি চিঠির মাধ্যমে জিদানের প্রতি তার সমর্থন ও একাত্ততা ঘোষণা করেন। ফরাসি পত্রিকা "লা ফিগারো" জিদানের গুতো দেবার ঘটনাটিকে "অমার্জনীয়" বলে আখ্যায়িত করে। ফ্রান্সে প্রকাশিত খেলাধুলা বিষয়ক দৈনিক পত্রিকা "লা ইকুইপে" এর প্রধান সম্পাদক জিদানকে মুহাম্মদ আলীর সাথে তুলনা করেন। একই সাথে তিনি এও উল্লেখ করেন যে মুহাম্মদ আলী,জেসি ওয়েন্স কিংবা পেলে কখনো জিদানের মত খেলাধুলার নিয়ম ভঙ্গ করেনি।একইসাথে তিনি প্রশ্ন রাখেন যে জিদান পুরো ব্যাপারটিকে সমগ্র বিশ্বের শিশুদের সামনে কিভাবে বিষয়টি ব্যাখ্যা করবেন,অবশ্য পরবর্তী দিন উক্ত মন্তব্যের জন্য তিনি ক্ষমা চান। এত আলোচনা সমালোচনা সত্ত্বেও জিদানের স্পন্সর তার সাথে থাকার কথা ঘোষণা দেন। ফিফার তদন্ত জিদানের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে ফিফা ঘটনাটির উপযুক্ত তদন্তের স্বার্থে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন।<refname="Fifa Profile"> </ref> তদন্তের পরিপ্রেক্ষিতে ফিফা মাতারাজ্জির বিরুদ্ধে $৪,১১৭ ডলার ক্ষতিপূরণ ধার্য করে এবং দুই ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করে।ভঅন্যদিকে জিদানকে $৬,১৭৬ ডলার জরিমানা এবং পরবর্তী তিন ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। ফিফার ভাষ্য অনুযায়ী জিদান ও মাতারাজ্জি উভয়েই বাদানুবাদটিকে নিন্দাসূচক বলে স্বীকার করে কিন্তু তা বর্ণবাদমূলক ছিলনা। জিদান যেহেতু বিশ্বকাপ ফাইনালের পরপরই অবসরে চলে যান সেহেতু তিনি তিন ম্যাচের নিষেধাজ্ঞার পরিবর্তে তিন দিন ফিফার পক্ষে স্বেচ্ছাসেবীমূলক কাজে অংশ নেন। দাতব্য কর্মসূচী ২০০৭ সালের ২৪শে ফেব্রুয়ারি জিদান উত্তর থাইল্যান্ড এ শিশুদের জন্য এইচআইভি/এইডস তহবিল গঠনের স্বার্থে একটি প্রদর্শনী ম্যাচে অংশ নেন যাতে ১০,০০০ এরও বেশি জিদান সমর্থক উপস্থিত ছিল।এই খেলাটি থেকে $৭,৭৫০ ডলার তহবিলের জন্য জমা হয়। ২০০৭ সালের ১৯ মার্চ জিদান অবসর গ্রহণের পর প্রথম বারের মত ইউরোপের মাটিতে একটি প্রদর্শনী ম্যাচে খেলতে নামেন। খেলাটি মার্সেইএর স্টাডে ভেলোড্রোমে অনুষ্ঠিত হয়। "দারিদ্রতার বিরুদ্ধে খেলা" শীর্ষক ম্যাচটির আয়োজক ছিল ইউএনডিপি পুরস্কার, সম্মাননা এবং অন্যান্য কর্মসূচি ২০০৪ সালে ফোর্বস ম্যাগাজিন জিদানকে বিশ্বের ৪২তম সর্বোচ্চ সম্মানীপ্রাপ্ত খেলোয়াড় হিসেবে ঘোষণা করে যার বাৎসরিক আয় হলো $১.৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০০১ সালে জিদান ইউএনডিপি'র "দারিদ্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ" বিষয়ক কর্মসূচির জন্য জাতিসংঘের শুভেচ্ছা দূত হিসেবে নিযুক্ত হন। ২০০০ সাল থেকে জিদান নিয়মিতভাবে দৈনিক পত্রিকার ভোটে অন্যতম জনপ্রিয় ফরাসি ব্যক্তিত্ব হিসেবে নির্বাচিত হয়ে আসছেন। তিনি ২০০০, ২০০৩ ও ২০০৬ সালে সর্বাধিক জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব, ২০০৫ সালে দ্বিতীয় সর্বাধিক জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব এবং ২০০১ ও ২০০২ সালে চতুর্থ সর্বাধিক জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব হিসেবে নির্বাচিত হন। ২০০৬ সালের নভেম্বর মাসে জিদান নোবেল শান্তি পুরস্কারজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনুসের অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ সফরে যান। তথ্যসুত্র বহিঃসংযোগ বিষয়শ্রেণী:জীবিত ব্যক্তি বিষয়শ্রেণী:১৯৭২-এ জন্ম বিষয়শ্রেণী:ফরাসি ক্রীড়াবিদ বিষয়শ্রেণী:ফরাসি ফুটবলার বিষয়শ্রেণী:ফরাসি ফুটবল ম্যানেজার বিষয়শ্রেণী:ফুটবল মধ্যমাঠের খেলোয়াড় বিষয়শ্রেণী:ইয়ুভেন্তুস ফুটবল ক্লাবের খেলোয়াড় বিষয়শ্রেণী:রিয়াল মাদ্রিদ ফুটবল ক্লাবের খেলোয়াড় বিষয়শ্রেণী:লীগ ১-এর খেলোয়াড় বিষয়শ্রেণী:সেরিয়ে আ-এর খেলোয়াড় বিষয়শ্রেণী:লা লিগার খেলোয়াড় বিষয়শ্রেণী:ফ্রান্স অনূর্ধ্ব-২১ আন্তর্জাতিক ফুটবলার বিষয়শ্রেণী:ফ্রান্সের আন্তর্জাতিক ফুটবলার বিষয়শ্রেণী:উয়েফা ইউরো ১৯৯৬ খেলোয়াড় বিষয়শ্রেণী:১৯৯৮ ফিফা বিশ্বকাপের খেলোয়াড় বিষয়শ্রেণী:উয়েফা ইউরো ২০০০ খেলোয়াড় বিষয়শ্রেণী:২০০২ ফিফা বিশ্বকাপের খেলোয়াড় বিষয়শ্রেণী:উয়েফা ইউরো ২০০৪ খেলোয়াড় বিষয়শ্রেণী:২০০৬ ফিফা বিশ্বকাপের খেলোয়াড় বিষয়শ্রেণী:উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লীগ বিজয়ী খেলোয়াড় বিষয়শ্রেণী:উয়েফা ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপ বিজয়ী খেলোয়াড় বিষয়শ্রেণী:ফিফা বিশ্বকাপ বিজয়ী খেলোয়াড় বিষয়শ্রেণী:ইউরোপীয় বর্ষসেরা ফুটবলার বিষয়শ্রেণী:ফিফা বর্ষসেরা ফুটবলার বিষয়শ্রেণী:ফিফা ১০০ বিষয়শ্রেণী:ফিফা সেঞ্চুরি ক্লাব বিষয়শ্রেণী:রিয়াল মাদ্রিদ ফুটবল ক্লাবের ম্যানেজার বিষয়শ্রেণী:লা লিগার ম্যানেজার বিষয়শ্রেণী:ফরাসি প্রবাসী ফুটবলার বিষয়শ্রেণী:ইতালিতে প্রবাসী ফুটবলার বিষয়শ্রেণী:স্পেনে প্রবাসী ফুটবলার বিষয়শ্রেণী:স্পেনে ফরাসি প্রবাসী বিষয়শ্রেণী:ফুটবল ক্লাব জিরোঁদেঁ দে বর্দোর খেলোয়াড় বিষয়শ্রেণী:কান স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশনের খেলোয়াড় বিষয়শ্রেণী:বালোঁ দর বিজয়ী
জিনেদিন জিদান
তজুমদ্দিন উপজেলা বাংলাদেশের ভোলা জেলার একটি প্রশাসনিক এলাকা। অবস্থান ও আয়তন এই উপজেলার উত্তরে দৌলতখান উপজেলা; দক্ষিণে মেঘনা নদী, লালমোহন ও মনপুরা উপজেলা; পূর্বে মেঘনা নদী ও নোয়াখালী জেলার হাতিয়া উপজেলা এবং পশ্চিমে বোরহানউদ্দিন উপজেলা। এর আয়তন ৫১২.৯২ বর্গ কিঃমিঃ। প্রশাসনিক এলাকাসমূহ তজুমদ্দিন উপজেলায় বর্তমানে ৫টি ইউনিয়ন রয়েছে। সম্পূর্ণ উপজেলার প্রশাসনিক কার্যক্রম তজুমদ্দিন থানার আওতাধীন। ইউনিয়নসমূহ: ১নং বড় মলংচড়া ২নং সোনাপুর ৩নং চাঁদপুর ৪নং চাঁচড়া ৫নং শম্ভুপুর ইতিহাস জনৈক তমিজউদ্দিন এর নামানুসারে তমিজউদ্দিন উপজেলার নামকরণ করা হয়। এ উপজেলার পূর্বে মেঘনা নদী, উত্তর ও পশ্চিমে বোরহানউদ্দিন উপজেলা এবং দক্ষিণে লালমোহন উপজেলা। ১৮৭২ সালের ১৫ই জানুয়ারীর জরীপে এটিকে দৌলতখাঁ থানার একটি আউটপোষ্ট হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে। ১৯২৮ সালের ২৮ শে আগস্ট তারিখ থেকে এই থানাটি একটি আলাদা থানার মর্যাদা পেয়ে আসছিল। মনপুরা এই থানার একটি ইউনিয়ন ছিল। নদীভাঙ্গনে এই থানা অতি সংকুচিত হয়ে আসছে। অপর দিকে যাতায়াত ও অন্যান্য কারণে মনপুরা আলাদা থানার স্বীকৃতি পাওয়ায় ইহার আয়তন আরো কমে যায়। ১৯৮৩ সালের ১৪ ই মার্চ তারিখে ভোলা জেলার দ্বিতীয় উপজেলা হিসেবে স্বীকৃতি পায়। জনসংখ্যার উপাত্ত ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী তজুমদ্দিন উপজেলার মোট জনসংখ্যা ১,২৬,৯৪০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৬৫,১৩৯ জন এবং মহিলা ৬১,৮০১ জন। মোট পরিবার ২৮,৭৩৪টি। শিক্ষা ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী তজুমদ্দিন উপজেলার সাক্ষরতার হার ৪২.৯%। এখানে ১টি কলেজ, ৭টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ১০৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ২টি কিন্ডারগার্টেন এবং ৭৭টি মাদ্রাসা আছে। কৃষি অর্থনীতি কৃতী ব্যক্তিত্ব বিবিধ এছাড়াও এখানে আছেঃ মসজিদ - ১৫৬টি, মন্দির - ৩০টি, মঠ - ৫টি, লাইব্রেরী - ১টি, ক্লাব - ১০টি, সিনেমা হল - ২টি, খেলার মাঠ - ৭টি, এতিমখানা - ৯টি, ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র - ১টি, সমবায় সমিতি - ৩০১টি, মহিলা সংগঠন - ৬২ টি। আরও দেখুন তথ্যসুত্র বহিঃসংযোগ জাতীয় তথ্য বাতায়নে তজমুদ্দিন উপজেলা। বিষয়শ্রেণী:ভোলা জেলার উপজেলা বিষয়শ্রেণী:বরিশাল বিভাগের উপজেলা বিষয়শ্রেণী:তজুমদ্দিন উপজেলা
তজুমদ্দিন উপজেলা
ঝালকাঠি সদর বাংলাদেশের ঝালকাঠি জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা। অবস্থান ও আয়তন ঝালকাঠী সদর উপজেলার উত্তরে উজিরপুর উপজেলা, দক্ষিণে - নলছিটি উপজেলা, পশ্চিমে - রাজাপুর উপজেলা, কাঁঠালিয়া উপজেলাও পিরোজপুর সদর উপজেলা এবং পূর্বে বরিশাল সদর উপজেলা অবস্থিত। ইতিহাস নামকরণ মুক্তিযুদ্ধে ঝালকাঠি সদর ভৌগোলিক উপাত্ত ভূপ্রকৃতি মৃত্তিকা নদ-নদী সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ঠ্য ভাষা উৎসব খেলাধুলা প্রশাসনিক এলাকাসমূহ ঝালকাঠি সদর উপজেলায় বর্তমানে ১টি পৌরসভা ও ১০টি ইউনিয়ন রয়েছে। সম্পূর্ণ উপজেলার প্রশাসনিক কার্যক্রম ঝালকাঠি সদর থানার আওতাধীন। পৌরসভা: ঝালকাঠি ইউনিয়নসমূহ: ১নং গাভা রামচন্দ্রপুর ২নং বিনয়কাঠী ৩নং নবগ্রাম ৪নং কেওড়া ৫নং কীর্তিপাশা ৬নং বাসণ্ডা ৭নং পোনাবালিয়া ৮নং গাবখান ধানসিঁড়ি ৯নং শেখেরহাট ১০নং নথুল্লাবাদ জনসংখ্যার উপাত্ত ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী ঝালকাঠি সদর উপজেলার মোট জনসংখ্যা ২,১৬,৩৪৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১,০৫,৪৬৮ জন এবং মহিলা ১,১০,৮৮০ জন। মোট পরিবার ৫০,৩১৫টি। শিক্ষা ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী ঝালকাঠি সদর উপজেলার সাক্ষরতার হার ৬৮.৮%। স্বাস্থ্য কৃষি অর্থনীতি শিল্প-প্রতিষ্ঠান যোগাযোগ ব্যবস্থা সড়কপথ রেলপথ নৌপথ কৃতী ব্যক্তিত্ব আমির হোসেন আমু (জন্মঃ ১ জানুয়ারি ১৯৪০) - রাজনীতিবিদ। দর্শনীয় স্থান ও স্থাপনা কীর্ত্তিপাশা জমিদার বাড়ি বিবিধ আরও দেখুন ঝালকাঠি জেলা; বরিশাল বিভাগ; বাংলাদেশের উপজেলাসমূহ। তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ ঝালকাঠি সদর উপজেলা - জাতীয় তথ্য বাতায়ন। বিষয়শ্রেণী:ঝালকাঠি সদর উপজেলা বিষয়শ্রেণী:ঝালকাঠি জেলার উপজেলা বিষয়শ্রেণী:বরিশাল বিভাগের উপজেলা
ঝালকাঠি সদর উপজেলা
থাম্ব|তারা মসজিদ, আরমানিটোলা, ঢাকা তারা মসজিদ পুরান ঢাকার আরমানিটোলায় আবুল খয়রাত সড়কে অবস্থিত। সাদা মার্বেলের গম্বুজের ওপর নীলরঙা তারায় খচিত এ মসজিদ নির্মিত হয় আঠারো শতকের প্রথম দিকে। মসজিদের গায়ে এর নির্মাণ-তারিখ খোদাই করা ছিল না। জানা যায়, আঠারো শতকে ঢাকার 'মহল্লা আলে আবু সাঈয়ীদ'-এ (পরে যার নাম আরমানিটোলা হয়) আসেন জমিদার মির্জা গোলাম পীর (মির্জা আহমদ জান)। ঢাকার ধণাঢ্য ব্যক্তি মীর আবু সাঈয়ীদের নাতি ছিলেন তিনি। মির্জা মসজিদ নির্মাণ করেন। ‌মির্জা সাহেবের মসজিদ হিসেবে এটি তখন বেশ পরিচিতি পায়। ১৮৬০ সালে মারা যান মির্জা গোলাম পীর। পরে, ১৯২৬ সালে, ঢাকার তৎকালীন স্থানীয় ব্যবসায়ী, আলী জান বেপারী মসজিদটির সংস্কার করেন। সে সময় জাপানের রঙিন চিনি-টিকরি পদার্থ ব্যবহৃত হয় মসজিদটির মোজাইক কারুকাজে। মোঘল স্থাপত্য শৈলীর প্রভাব রয়েছে এ মসজিদে। ঢাকার কসাইটুলীর মসজিদেও এ ধরনের বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করা যায়। উল্লেখ্য, দিল্লি, আগ্রা ও লাহোরের সতের শতকে নির্মিত স্থাপত্যকর্মের ছাপ পড়ে মোঘল স্থাপত্য শৈলীতে। ডান|থাম্ব|তারা মসজিদ বারান্দা মির্জা গোলামের সময় মসজিদটি ছিল তিন গম্বুজঅলা, দৈর্ঘ্যে ৩৩ ফুট (১০.০৬ মিটার) আর প্রস্থে ১২ ফুট (৪.০৪ মিটার)। আলী জানের সংস্কারের সময়, ১৯২৬ সালে, মসজিদের পূর্ব দিকে একটি বারান্দা বাড়ানো হয়। ১৯৮৭ সালে তিন গম্বুজ থেকে পাঁচ গম্বুজ করা হয়। পুরনো একটি মেহরাব ভেঙে দুটো গম্বুজ আর তিনটি নতুন মেহরাব বানানো হয়। মসজিদের বতর্মান দৈর্ঘ্য ৭০ ফুট (২১.৩৪ মিটার), প্রস্থ ২৬ ফুট (৭.৯৮ মিটার)। আরো দেখুন বাংলাদেশের মসজিদের তালিকা ঢাকা বিভাগের মসজিদের তালিকা বহিঃসংযোগ তারা মসজিদ, বাংলাপিডিয়া মির্জা গোলাম পীরের মসজিদ, আর্কনেট ডিজিটাল লাইব্রেরি স্টার হেরিটেজ, ডেইলি স্টার পত্রিকা, ২৫ জুলাই ২০০৪ বিষয়শ্রেণী:ঢাকার মসজিদ বিষয়শ্রেণী:ঢাকা জেলার দর্শনীয় স্থান
তারা মসজিদ
কিলোগ্রাম (সংক্ষেপে কি.গ্রা.) মেট্রিক পদ্ধতিতে ভর পরিমাপের একক। এটি আনুষ্ঠানিকভাবে আন্তর্জাতিক একক পদ্ধতির ভর পরিমাপের মান একক হিসাবে গৃহীত হয়েছে যার এককের প্রতীক kg। এটি বিশ্বজুড়ে বিজ্ঞান, প্রকৌশল ও বাণিজ্যে বহুল ব্যবহৃত ভরের একক। কিলোগ্রামকে প্রত্যহিক জীবনে প্রায়শই শুধু কিলো হিসাবেও উল্লেখ করা হয়। আদিতে, ১৭৯৫ সালে, একক কিলোগ্রামকে এক লিটার বিশুদ্ধ পানির ভর দ্বারা সংজ্ঞায়িত করা হয়েছিল। এটি কিলোগ্রামের সরল সংজ্ঞা হলেও ব্যাবহারিক ক্ষেত্রে প্রয়োগ অসুবিধাজনক। কিলোগ্রাম এককের সর্বশেষ সংজ্ঞাতেও এর নির্ভুলতা ৩০ পিপিএম। ১৭৯৯ সালে প্লাটিনামের কিলোগ্রাম দেস আর্কাইভের' ভর দ্বারা ভরের প্রমিত সংজ্ঞা প্রতিস্থাপন করা হয়। ১৮৮৯ সালে প্লাটিনাম-ইরিডিয়ামের তৈরি একটি সিলিন্ডারকে কিলোগ্রামের আন্তর্জাতিক মূলনমুনা হিসাবে গ্রহণপূর্বক মেট্রিক পদ্ধিতির ভরের প্রমিত সংজ্ঞা নির্ধারিত হয় এবং তা ২০১৯ সাল পর্যন্ত অপরিবর্তিত ছিলো। কিলোগ্রামই হলো আন্তর্জাতিক একক পদ্ধতির সর্বশেষ একক যার সংজ্ঞা ভৌতবস্তুর বৈশিষ্ট্যের নিরিখে নির্ধারিত হলো। কিলোগ্রাম এখন সেকেন্ড এবং মিটারের নিরিখে সংজ্ঞায়িত হয়েছে, প্রকৃতির নির্দিষ্ট মৌলিক ধ্রুবকের উপর ভিত্তি করে। ফলে এখন যথাযথভাবে সজ্জিত যে কোন পরিমাপবিজ্ঞান পরীক্ষাগার তাদের ভর মাপনযন্ত্রের ক্রমাঙ্ক নিজেরাই সংশোধন করতে, যেমন ঠিক এক কিলোগ্রাম ভর নির্ধারণের জন্য কিবল নিক্তিকে প্রাথমিক মানযন্ত্ররূপে ব্যবহার করতে পারবে। যদিও কিলোগ্রামের আন্তর্জাতিক মূলনমুনা এবং অন্যান্য মূলনমুনাসমুহ দ্বিতীয় মান ভর হিসাবে ব্যবহার্যে রাখা হয়েছে। সংজ্ঞা তিনটি মৌলিক ভৌত ধ্রুবকের নিরিখে কিলোগ্রামকে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে: আলোর গতি , একটি নির্দিষ্ট পারমাণবিক রুপান্তর কম্পাঙ্ক , and প্ল্যাঙ্কের ধ্রুবক . বিধিবৎ সংজ্ঞায়নটি নিম্নরূপ: কিলোগ্রাম, যার প্রতীক kg, আন্তর্জাতিক একক পদ্ধতির ভরের একক। প্লাঙ্কের ধ্রুবক এর সাংখ্যিক মান গ্রহণ করে কিলোগ্রাম সংজ্ঞায়িত, যখন J⋅s এককে প্রকাশ করা হয়, যা kg⋅m2⋅s−1 সমতুল্য, যেখানে মিটার এবং সেকেন্ড এবং নিরিখে সংজ্ঞায়িত। একক এর ক্ষুদ্রতম এককগুলো হলো: হেক্টোগ্রাম, ডেকাগ্রাম, গ্রাম, ডেসিগ্রাম, সেন্টিগ্রাম, মিলিগ্রাম। ১কিলো গ্রাম = ১০০০ গ্রাম=১০০ ডেকা গ্রাম=১০ হেক্টাগ্রাম ১গ্রাম = ১০০০ মিলিগ্রাম=১০০ সেন্টি গ্রাম=১০ ডেসিগ্রাম ১ কেজি = ২.২০৪৬২২৬২১৮৪৯ পাউন্ড = ৩৫.২৭৩৯৬১৯৪৯৫৮ আউন্স। টীকা তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:পরিমাপ বিষয়শ্রেণী:এসআই একক
কিলোগ্রাম
মুসলমান বা মুসলিম (আরবি:مسلم-অর্থ: আত্মসমর্পণ, অনুগত) হলো সেই লোক যে নিজের ইচ্ছাকে আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণ করে ৷ তবে বর্তমানে মুসলিম বলতে একেশ্বরবাদী ইব্রাহিমীয় ধর্ম ইসলামের অনুসারিদের বা ইসলাম পালনকারীদের বুঝানো হয় বা যারা ইসলামের অনুসরণ করে তাদের মুসলমান বা মুসলিম বলা হয়। মুসলমানেরা তাদের পবিত্র গ্রন্থ কুরআনকে আল্লাহর বাণী বলে মনে করে যা ইসলামের নবী ও রাসূল মুহাম্মদের উপর অবতীর্ণ হয়েছে। সকল মুসলমানরা ঐতিহ্যবাহী বিবরণীতে বর্ণিত মুহাম্মদের শিক্ষা (সুন্নাহ) ও হাদিস অনুসরণ করে। মুসলিম আরবি শব্দ যার বাংলা অর্থ আত্মসমর্পণকারী এবং এর বাংলা পরিভাষা হিসেবে মুসলিম ও মুসলমান দুটি শব্দই সমান ভাবে ব্যবহার হয়। শর্তসমূহ মুসলমানদের ধর্মীয় অনুশীলনগুলি ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে গণ্য করা হয়েছে: - এক আল্লাহ এবং তাঁর রাসুলের উপর নিখাদ বিশ্বাসের ঘোষণা দেয়া (শাহাদাহ), - প্রতিদিনের পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা (সালাত), - রমজান মাসে রোযা (পানাহার এবং স্বামী-স্ত্রী সহবাস থেকে বিরত থাকা) রাখা, - পুঞ্জীভূত সম্পত্তির সাদকা দেওয়া (যাকাত) - এবং সামর্থ্যবানদের জন্য জীবনে অন্তত একবার মক্কায় হজব্রত পালন করা মক্কা (তীর্থযাত্রা) । মুসলমান হওয়ার জন্য এবং ইসলাম গ্রহণের জন্য ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে একটি শাহাদাহকে (বিশ্বাস ও বিশ্বাসের ঘোষণা) উচ্চারণ করা অপরিহার্য, اشْهَدُ انْ لّآ اِلهَ اِلَّا اللّهُ وَحْدَه لَا شَرِيْكَ لَه، وَ اَشْهَدُ اَنَّ مُحَمَّدً اعَبْدُه وَرَسُولُه এর বাংলা অর্থ "আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ্‌ ছাড়া কোন উপাস্য নাই। তিনি এক, অদ্বিতীয় এবং আরও সাক্ষ্য দিতেছি যে, মুহাম্মাদ তাঁহার বান্দা ও প্রেরিত রাসুল।" জনমিতি সর্বাধিক জনবহুল মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশটি ইন্দোনেশিয়া, বিশ্বের ১২.৭% মুসলমান এ দেশে বসবাস করে, এর পরে পাকিস্তানে (১১.০%), বাংলাদেশে (৯.২%) এবং মিশরে (৪.৯%) রয়েছে। বিশ্বের প্রায় ২০% মুসলমান মধ্য প্রাচ্য এবং উত্তর আফ্রিকাতে বসবাস করে। বড় সংখ্যালঘু হিসেবে ভারত, চীন, রাশিয়া, ইথিওপিয়া, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া এবং ইউরোপের কিছু অংশেও দেখা যায়। মোট জনসংখ্যার অনুপাত হিসাবে স্ব-বর্ণিত মুসলমানদের সর্বোচ্চ অনুপাতের দেশটি হল মরক্কো। ধর্মান্তরিত এবং অভিবাসী সম্প্রদায়গুলি বিশ্বের প্রায় প্রতিটি অঞ্চলে রয়েছে। ৭৫-৯০% এরও বেশি মুসলমান হলেন সুন্নি, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় বৃহত্তম সম্প্রদায় শিয়া এবং আহমদিয়া যথাক্রমে ১০-২০%, এবং ১% করে। তবে পাকিস্তান, বাংলাদেশসহ অধিকাংশ মুসলমান প্রধান দেশে আহমদিয়াদের মুসলামন হিসেবে গন্য করা হয় না। সংস্কৃতি মুসলমান বা মুসলিম সংস্কৃতি বা ইসলামী সংস্কৃতি এমন শব্দগুলো যা মুসলমান এবং ঐতিহাসিকভাবে ইসলামী মানুষদের প্রচলিত সাংস্কৃতিক প্রথার বর্ণনায় ব্যবহৃত হয়। ইসলামী সংস্কৃতির প্রাথমিক রূপগুলি খোলাফায়ে রাশেদিন থেকে শুরু করে উমাইয়া খিলাফত পর্যন্ত প্রাথমিকভাবে আরব, বাইজেন্টাইন, পারস্য এবং লেভানটাইনে বিকশিত হয়েছে। তাই মুসলিম সংস্কৃতির শুরুটা ছিল প্রধানত আরবীয়। ইসলামী সাম্রাজ্যগুলোর পরিধি দ্রুত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে, মুসলিম সংস্কৃতিও ইরানি, বাংলাদেশি, তুর্কী, পাকিস্তানি, মঙ্গলীয়, চীনা, ভারতীয়, মালয়, সোমালীয়, মিশরীয়, ইন্দোনেশীয়, ফিলিপাইন, গ্রিক, রোমান, বাইজেন্টাইন, স্প্যানিশ, সিসিলিয়, বলকানীয়, পশ্চিমা সংস্কৃতির দ্বারা প্রভাবিত এবং তাদের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে পড়ে। উতসব মুসলমান ধর্মে প্রধানত দুইটি উৎসব পালন করা হয়ে থাকে। ঈদ উল ফিতর ঈদ উল আযহা মুসলিম বিশ্ব মুসলমানদের তালিকা মুসলমানদের ছুটির দিন তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ আধুনিক মানুষের জন্য সমসাময়িক প্রশ্ন ও উত্তর-কুরআনের কথা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের নিয়ত ও মোনাজাত - The Dhaka Times Ritual Prayer: Its Meaning and Manner The Islamic Supreme Council of America. বিষয়শ্রেণী:মুসলিম বিষয়শ্রেণী:ইসলাম
মুসলিম
তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়ার জন্ম ১৯১১ সালে পিরোজপুর জেলা জেলার ভাণ্ডারিয়া গ্রামে। তার বাবার নাম মুসলেম উদ্দিন মিয়া। শৈশবেই মানিক মিয়ার মা মারা যান। গ্রামের পূর্ব ভান্ডারিয়া মডেল প্রাইমারি স্কুলে মানিক মিয়ার শিক্ষা জীবনের শুরু। সেখানে কিছুদিন পড়ার পর তিনি ভর্তি হন ভান্ডারিয়া হাই স্কুলে। স্কুল জীবন থেকেই তার মেধার পরিচয় পাওয়া যায়। তখন থেকেই তিনি ছিলেন সহচর-সহপাঠীদের কাছে ক্ষুদে নেতা। ভান্ডারিয়া স্কুলে মানিক মিয়া অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনা করেন। তারপর চলে যান পিরোজপুর জেলা সরকারী হাই স্কুলে। সেখান থেকেই তিনি কৃতিত্বের সাথে মেট্রিক পাশ করেন। ১৯৩৫ সালে মানিক মিয়া ডিস্টিংশন সহ বরিশাল বিএম কলেজ থেকে বিএ ডিগ্রি লাভ করেন। কর্মজীবন পড়াশোনা শেষ করে তিনি পিরোজপুর জেলা সিভিল কোর্টে চাকরি শুরু করেন। চাকরি করার সময় তিনি একবার বরিশাল জেলা তৎকালীন মুসলিম লীগ নেতা হোসেন শহীদ সোহ্‌রাওয়ার্দী সান্নিধ্য লাভের সুযোগ পান। কোর্টের চাকুরীকালীন সময়ে জনৈক মুন্সেফ একদিন তার সাথে খারাপ আচরণ করেন। এই অন্যায় আচরণের প্রতিবাদ করে চাকুরি ছেড়ে দেন। এ চাকুরী ছেড়ে দিয়ে তিনি যোগ দেন করেন তদানীন্তন বাংলা সরকারের জনসংযোগ বিভাগে বরিশাল জেলার সংযোগ অফিসার হিসেবে। সে চাকুরী ছেড়ে দেয়ার পর তিনি কলকাতার প্রাদেশিক মুসলিম লীগের অফিস সেক্রেটারি হিসেবে যোগ দেন। রাজনৈতিক প্রচারকে জনগণের কাছে নিয়ে যেতে একটি প্রচারপত্রের প্রয়োজন ছিলো এবং সেই চিন্তা থেকেই মানিক মিয়ার উদ্যোগে ১৯৪৬ সালে আবুল মনসুর আহমেদের সম্পাদনায় বের হয় 'দৈনিক ইত্তেহাদ'। ১৯৪৭ সালের আগস্ট মাসে 'দৈনিক ইত্তেহাদ'-এর পরিচালনা পরিষদের সেক্রেটারি হিসেবে যোগ দেন। এ পত্রিকার সাথে মানিক মিয়া মাত্র দেড় বছরের মতো যুক্ত ছিলেন। এই পত্রিকার মাধ্যমেই তার গণমাধ্যম জগতের সাথে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ গড়ে ওঠে। দেশ বিভাগের পর থেকে পত্রিকাটি ঢাকায় নিয়ে আসার অনেক চেষ্টা করেন তিনি। কিন্তু তিনবার পত্রিকাটিকে পূর্ব পাকিস্তানে প্রবেশে বাধা দেয়া হয় এবং এখানে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। বার বার এভাবে পাকিস্তানি সরকার কর্তৃক বাধাপ্রাপ্ত হওয়ায় শেষ পর্যন্ত পত্রিকাটি বন্ধ করে দিতে বাধ্য হন কর্তৃপক্ষ। মানিক মিয়াও তখন ঢাকায় চলে আসেন। thumb|ঢাকায় মানিক মিয়ার বাড়ি ১৯৪৮ সালেই পূর্ব পাকিস্তানের সংখ্যাগরিষ্ঠ বাঙালিরা মাতৃভাষা বাংলার দাবিতে রাজপথে নামে। এই ভাষা আন্দোলনকে কেন্দ্র করেই বাঙালির পাকিস্তান মোহ কিছুটা কাটতে থাকে। ১৯৪৯ সালে মুসলীম লীগের বিরোধী প্রতিষ্ঠান হিসেবে পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগের জন্ম হয়। একই বছরে এই রাজনৈতিক দলের মুখপত্র হিসেবে আবির্ভাব ঘটে সাপ্তাহিক ইত্তেফাক-এর। আবদুল হামিদ খান ভাসানী পত্রিকাটির আনুষ্ঠানিক সম্পাদকের দায়িত্ব পান। ১৯৫১ সালের ১৪ আগস্ট থেকে মানিক মিয়া এই পত্রিকার পূর্ণ দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। ১৯৫৩ সালে তার সম্পাদনায় সাপ্তাহিক ইত্তেফাক দৈনিক ইত্তেফাকে রূপান্তরিত হয়। এ সময়ে দৈনিক ইত্তেফাকপত্রিকা আইয়ুব খানের সামরিক শাসন বিরোধী আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। সামরিক আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ১৯৫৯ সালে তিনি এক বছর জেল খাটেন। ১৯৬৩ সালে তিনি আবার গ্রেফতার হন। এ সময় দৈনিক ইত্তেফাকের প্রকাশনা নিষিদ্ধ এবং নিউ নেশন পৃন্টিং প্রেস বাজেয়াপ্ত করা হয়। এর ফলে তার প্রতিষ্ঠিত অন্য দুটি পত্রিকা ঢাকা টাইমস ও পূর্বাণী বন্ধ হয়ে যায়। গণআন্দোলনের মুখে সরকার ইত্তেফাকের ওপর বিধি-নিষেধ প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়। ফলে ১৯৬৯ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি পত্রিকাটি আবার প্রকাশিত হয়। পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর শোষণ ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ সৃষ্টির লক্ষ্যে তিনি ইত্তেফাকের রাজনৈতিক হালচাল ও পরবর্তী সময়ে মঞ্চে নেপথ্যে কলামে মোসাফির ছদ্মনামে নিয়মিত উপসম্পাদকীয় লিখতেন। ১৯৬৩ সালে তিনি আন্তর্জাতিক প্রেস ইন্সটিটিউটের পাকিস্তান শাখার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। ১৯৬৪ সালে কাশ্মীরে সৃষ্ট দাঙ্গা ঢাকায় ছড়িয়ে পড়লে তা প্রতিরোধে স্থাপিত দাঙ্গা প্রতিরোধ কমিটির প্রথম সভাপতি হিসেবে তিনি দায়িত্ব পালন করেন। মৃত্যু দীর্ঘ সংগ্রামের পর একটা সময়ে এসে মানিক মিয়া কিছুটা ক্লান্ত হয়ে পড়েন। তার শরীর ভেঙ্গে পড়ে। এ অবস্থায় ১৯৬৯ সালে ২৬ মে এই ভগ্ন স্বাস্থ্য নিয়েই তিনি প্রাতিষ্ঠানিক কাজে রাওয়ালপিন্ডি যান। সেখানেই ১৯৬৯ সালের ১ জুন রাতে তিনি মারা যান। পরিবারের সদস্য পিরোজপুর জেলা সিভিল কোর্টে কর্মরত থাকাবস্থায় ১৯৩৭ সালে ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা থানার অন্তর্গত গোয়ালদি গ্রামের অভিজাত পরিবারের মরহুম খোন্দকার আবুল হাসান সাহেবের কন্যা মাজেদা বেগমের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। এই দম্পতির দুই ছেলে ও দুই মেয়ে। তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়ার দুই ছেলে হলেন ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন ও আনোয়ার হোসেন মঞ্জু। মইনুল হোসেন বঙ্গবন্ধু সরকারের এমপি ও ওয়ান ইলেভেন সরকারের আইন উপদেষ্টা ছিলেন। মানিক মিয়ার ছোট ছেলে জাতীয় পার্টি (জেপি) সভাপতি ও আওয়ামী লীগ সরকারের বর্তমান পরিবেশ ও বনমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু। তিনি এরশাদ ও শেখ হাসিনার সরকারের আমলে গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন এবং বিএনপির প্রথম আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ছিলেন। তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ গুঞ্জন দৈনিক ইত্তেফাক ১ জুন ২০১৮। বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশী সাংবাদিক বিষয়শ্রেণী:১৯১১-এ জন্ম বিষয়শ্রেণী:১৯৬৯-এ মৃত্যু বিষয়শ্রেণী:সাংবাদিকতায় একুশে পদক বিজয়ী বিষয়শ্রেণী:বরিশালের ব্যক্তি বিষয়শ্রেণী:পিরোজপুর জেলার ব্যক্তি বিষয়শ্রেণী:১৯৭৬-এ একুশে পদক বিজয়ী
তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া
thumb|দশরথের নিকট কৈকেয়ীর বরপ্রার্থনা|200px সূর্যবংশীয় রাজা দিলীপের পুত্র রঘু, রঘুর পুত্র অজ ও অজের পুত্র দশরথ । ইনি অযোধ্যার রাজা এবং রাম লক্ষ্মণাদির পিতা । কৌশল্যা, কৈকেয়ী ও সুমিত্রা নামে এঁর তিনজন প্রধান মহিষী ছিলেন । বহু বৎসর এঁর কোন পুত্র হয় নি । শান্তা নামে এঁর এক কন্যাও ছিল । দশরথ এই কন্যাকে পরম মিত্র অঙ্গদেশের রাজা রোমপাদের কাছে পৌষ্যপুত্রীরূপে দান করেন । রোমপাদ শান্তাকে বিভাণ্ডক মুনির পুত্র ঋষ্যশৃঙ্গের সাথে বিবাহ দেন । অন্ধমুনির অভিশাপ যৌবনে একবার দশরথ মৃগয়াকালে গভীররাত্রে কলসে জল পূর্ণরত এক মুনিকুমারকে জলপানরত হস্তী ভ্রমে শব্দভেদী বাণের সাহায্যে হত্যা করেন । দশরথ যখন মুনিকুমারকে তার অন্ধ পিতার কাছে নিয়ে যান তখন তিনি এই বলে অভিশাপ দেন : অর্থাৎ হে রাজা তুমি যেভাবে আমাকে পুত্রের বিরহ দুঃখ দিয়েছ একই ভাবে তুমিও পুত্রশোকে প্রাণ হারাবে । এই বলে তিনি ও তার স্ত্রী দেহত্যাগ করেন । পুত্রেষ্টি যজ্ঞ অপুত্রক দশরথ পুত্রকামনায় পুত্রেষ্টিযজ্ঞ করেন। সেই যজ্ঞ তার জামাতা ঋষ্যশৃঙ্গ মুনি করেন। সেই যজ্ঞের পায়েস খেয়ে কৌশল্যা ও কৈকেয়ীকে পুত্রলাভার্থে আহার করতে দেন । কৌশল্যা ও কৈকেয়ী এই পায়সের অংশ অন্য সপত্নী সুমিত্রাকে আহার করতে দেন । এর ফলে কৌশল্যার গর্ভে রাম, কৈকেয়ীর গর্ভে ভরত এবং সুমিত্রার দুই ভাগ পায়স ভক্ষণের ফলে লক্ষ্মণ ও শত্রুঘ্ন নামে দুই যমজ সন্তানের জন্ম হয়। কৈকেয়ীকে বরদান ও মৃত্যু একবার দেবাসুর যুদ্ধে শম্বরাসুরকে বধ করতে গিয়ে দশরথ ভীষণ ভাবে আহত হন । এসময় দশরথ তাকে একই সময়ে দুটি বর দেবার প্রতিশ্রুতি করেন । রামের রাজ্যাভিষেকে কৈকেয়ী দাসী মন্থরার প্ররোচনায় এই বর চান যেন রামের বদলে ভরত রাজা হয় এবং রাম চৌদ্দ বছরের জন্য বনবাসী হয় । দশরথ নিতান্ত অনিচ্ছায় এই বর দেন এবং রাম এর বনবাসের ষষ্ঠ দিন ইনি দেহত্যাগ করেন । বহিঃসংযোগ Ramayana, translated in English by Ralph T. H. Griffith, from Project Gutenberg Ramayana by Valmiki Ramayana by Tulsidas বিষয়শ্রেণী:রঘুবংশ বিষয়শ্রেণী:রামায়ণের চরিত্র
দশরথ
thumb|200px|শিলাইদহ কুঠীবাড়ি শিলাইদহ বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলায় অবস্থিত একটি এলাকা। এখানে কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এর স্মৃতি বিজড়িত কুঠিবাড়ি অবস্থিত। রবীন্দ্রনাথ তার যৌবনকালের একটি উল্লেখযোগ্য সময় এখানে কাটিয়েছেন। শিলাইদহ কুঠিবাড়ির পাশ দিয়ে বয়ে গেছে পদ্মা নদী। শিলাইদহ কুঠিবাড়ি কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলার একটি গ্রাম শিলাইদহ। পদ্মা নদীর কোল ঘেঁষে গ্রামটির পূর্ব নাম কসবা। রবীন্দ্রনাথের পিতামহ প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর ১৮০৭ সালে এ অঞ্চলের জমিদারি পান। পরবর্তিতে ১৮৮৯ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এখানে জমিদার হয়ে আসেন। এখানে তিনি ১৯০১ সাল পর্যন্ত জমিদারী পরিচালনা করেন। এ সময় এখানে বসেই তিনি রচনা করেন তার বিখ্যাত গ্রন্থ সোনার তরী, চিত্রা, চৈতালী, ইত্যাদি, গীতাঞ্জলী কাব্যের অনুবাদ কাজও শুরু করেন। এখানে রবীন্দ্রনাথের সাথে দেখা করতে এসেছেন জগদীশ চন্দ্র বসু, দ্বিজেন্দ্রলাল রায়, প্রমথ চৌধুরী সহ আরো অনেকে। চিত্রশালা আরও দেখুন বাংলাদেশের প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানের তালিকা তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ বিষয়শ্রেণী:রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বিষয়শ্রেণী:কুমারখালী উপজেলা বিষয়শ্রেণী:কুষ্টিয়া জেলার পুরাতাত্ত্বিক স্থাপনা বিষয়শ্রেণী:কুষ্টিয়া জেলার দর্শনীয় স্থান
শিলাইদহ
thumb|ইয়াহু! সদরদপ্তর ইয়াহু বা ইয়াহু! ইনক. () একটি বৃহৎ ইন্টারনেট ভিত্তিক বাণিজ্য প্রতিষ্ঠান। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের সানিভেল শহরে এর প্রধান কার্যালয় অবস্থিত। ডেভিড ফিলো ও জেরি ইয়াং ইয়াহু এর প্রতিষ্ঠাতা। ইয়াহু'র রয়েছে ওয়েবসাইট, সার্চইঞ্জিন, ইয়াহু ডিকশেনারী, ইয়াহু! মেইল, ইয়াহু নিউজ, ইয়াহু গ্রুপ, ইয়াহু এন্সার, অ্যাডভার্টাইজমেন্ট, অনলাইন ম্যাপ, ইয়াহু ভিডিও, সোশ্যাল মিডিয়া সেবা ইত্যাদি। ইয়াহু যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম বড় ওয়েবসাইট। ১৯৯৪ সালের জানুয়ারি মাসে ইয়াহু চালু হলেই ইনকর্পোরেটেড হয় ১৯৯৫ সালের ১ মার্চ। ২০০৯ সালের ১৩ জানুয়ারি ইয়াহু ক্যারল বার্টজকে নিয়োগ দেয় প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবং পরিচালনা বোর্ডের সদস্য হিসেবে। ২০১১ সালের ৬ সেপ্টেম্বর বার্টজকে প্রধান নির্বাহীর পদ থেকে অপসারন করা হয় এবং টিম মর্সকে অস্থায়ীভাবে এ পদটি দেয়া হয়। ৪ই জানুয়ারি ২০১২ সালে পেপালের সাবেক প্রেসিডেন্ট স্কট থম্পসনকে নতুন প্রধান নির্বাহীর পদে নিযুক্ত করা হয়।। সংবাদ সংস্থাগুলো তথ্য অনুসারে ইয়াহুর নিয়মিত ব্যবহারকারী প্রায় ৭০০ মিলিয়ন। ইয়াহু দাবি করে "প্রতি মাসে প্রায় ৫ কোটি মানুষ ৩০টি ভাষায় ইয়াহু ব্যবহার করে । আরো দেখুন গুগল তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ ইয়াহু ওয়েব পোর্টাল বিষয়শ্রেণী:ইয়াহু! বিষয়শ্রেণী:মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বহুজাতিক কোম্পানির সদর দফতর বিষয়শ্রেণী:মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইন্টারনেট কোম্পানি বিষয়শ্রেণী:ওয়েব প্রবেশদ্বার বিষয়শ্রেণী:মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান
ইয়াহু!
থাম্ব|275x275পিক্সেল|বাংলাদেশের যাত্রীবাহী ট্রেনে হকার কর্তৃক পরিবেশিত ঝাল চানাচুর চানাচুর একপ্রকার ভাজা নাশতা জাতীয় হালকা খাবার। এর অন্য নাম ডালমুট। মুলত এটি ছোলার বা অড়হড় ডালের মিহি গুঁড়া (বেসন) থেকে তৈরি হয়। তবে এতে প্রায়শ চিনাবাদাম, চিঁড়া, সবুজাভ ভাজা মটরশুটিঁ ইত্যাদি যোগ করা হয়। বিশেষ করে ভাজা বাদাম চানাচুরের অপরিহার্য উপকরণ। শুকনা, মুচমুচে, স্বাদে ঝাল। দক্ষিণ এশীয়দের কাছে জনপ্রিয় একটি নাস্তা। ঘরোয়া আড্ডা, নদীর তীর বা উদ্যানে ভ্রমণ চানাচুর চর্বনে প্রাণময় হয়ে ওঠে। গ্রামে-গঞ্জে, হাটে-বাজারে খেটে-খাওয়া মানুষের কাছে স্বল্পমূল্যের চানাচুর সাময়িক ক্ষুধা নিবৃত্তিতে কার্যকর। এটি রুচিকর। মরিচের গুঁড়া ও লবণের কারণে এটি নিজেই ঝাল, তবু প্রায়শ: পরিবেশনের আগে পেঁয়াজ কুচি, কাচা মরিচ, সরষের তেল প্রভৃতি, কখনো আদা কুচি বা ধনে পাতা, দিয়ে মাখিয়ে একে আরো সুস্বাদু করা হয়। এছাড়া মুড়ি দিয়ে মাখিয়েও চানাচুর পরিবেশন করা হয়। চানাচুর সাধারণত ঘরে ঘরে তৈরী করা হয় না। চানাচুর তৈরী ও বিক্রি করে হাজার হাজার বেকার মানুষ জীবিকা নির্বাহ করে।১৯৯০-এর দশক থেকে বাংলাদেশে বড় আকারের কারখানায় চানাচুর উৎপন্ন করা এবং তা প্যাকেটজাত করা শুরু হয়। ভারতে মিষ্টি স্বাদের চানাচুর প্রস্তুত করা হয় ; কখনো কখনো এতে কিসমিস যোগ করা হয়। তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশী খাবার বিষয়শ্রেণী:ভারতীয় রন্ধনশৈলী বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশী রন্ধনশৈলী বিষয়শ্রেণী:বাঙালি রন্ধনশৈলী বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশের হালকা জলখাবার
চানাচুর
পুনর্নির্দেশ জসীম উদ্‌দীন
জসীমউদ্‌দীন
হাসান আল বান্না (আরবি ভাষায় حسن البنا) (জন্ম ১৪ অক্টোবর , ১৯০৬-মৃত্যু ১২ ফেব্রুয়ারি, ১৯৪৯) ছিলেন একজন মিশরীয় সামাজিক ও রাজনৈতিক সংস্কারক। তিনি মুসলিম ব্রাদারহুড দলের প্রতিষ্ঠাতা। তিনি ইসলামকে বাস্তব জীবনের জীবন ব্যবস্থা ও কুরআনকে এই ব্যবস্থার একমাত্র সংবিধান বলে মনে করতেন। তিনি পাশ্চাত্যের বস্তুবাদ, ব্রিটিশদের সাম্রাজ্যবাদ এবং মিশরের প্রথাগত আলেমদের সমালোচনা করেন। প্রাথমিক জীবন ১৯০৬ সালে ১৪ অক্টোবর মিশরের রাজধানী কায়রোর কাছে মাহমুদিয়া অঞ্চলে অত্যন্ত ধর্মপ্রাণ মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম আব্দুর রহমান বান্না, যিনি একজন ইমাম ছিলেন।, বারো বছর বয়সে তিনি সুফীবাদের প্রতি আকৃষ্ট হন। তিনি সেই কিশোর বয়সেই ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে পথে নেমেছিলেন। তার শিক্ষা জীবন শুরু হয় মাদ্রাসায় রাশাদ আদ নামক প্রতিষ্ঠানে। এরপর তিনি আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে দারূল উলুমে ভর্তি হন। ১৯১৭ সালে সেখান থেকে তিনি ডিপ্লোমা লাভ করেন। হাসান আল বান্না ১৯২৭ সালে সরকারী স্কুলের শিক্ষক হিসেবে যোগদান করে কর্মজীবন শুরু করেন। এ সময় তিনি মিশরে প্রচুর ভ্রমণ করেন এবং সেই সময়কার বড় বড় আলেমদের সংস্পর্শে আসেন। তার নজরে পড়ে পাশ্চাত্যের ধর্মনিরপেক্ষতার প্রভাবে কিভাবে মিশরের সমাজ ক্রমশ ভোগের দিকে ঝুঁকে পড়ছে কিভাবে সনাতন মূল্যবোধ থেকে দূরে সরে আসছে। পরবর্তীতে তিনি আলআজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করেন। সেখানে তিনি সবিস্ময়ে লক্ষ করেন কিভাবে খ্রীষ্টান মিশনারীরা ইসলামের বিরুদ্ধে নাস্তিকতাকে উৎসাহিত করে চলে। ১৯২৮ সালে ৬ জন ইসলামী ব্যক্তিত্বের সহযোগিতায় হাসান আল বান্না গঠন করেন “ইখওয়ানুল মুসলিমিন” সংগঠনটি আর তিনি সেই সংগঠনের আমির নির্বাচিত হন। সংগঠনটিকে সামাজিক ভিত্তি দিতে পুরো মিশর জুড়ে তিনি একইসঙ্গে সমাজকল্যাণ এবং ইসলামী মূল্যবোধ প্রচারের বিশাল নেটওয়ার্ক গড়ে তোলেন। মিশরের প্রতিটি শহরে গড়ে ওঠে শাখা সংগঠন। ইসলামকে সবার নিকট উপস্হাপনের জন্য তিনি মহিলাদেরকে নিয়ে আখওয়াত আল মুসলিমাত নামক সংগঠন গড়ে তোলেন। ১৯৩৩ সালে আল ইখওয়ানের প্রথম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এই সম্মেলনে সিদ্ধান্ত হয় একটি পত্রিকা প্রকাশের । পত্রিকাটির নাম মাজাল্লাতুল ইখওয়ানুল মুসলিমিন। তার এই কর্মকান্ড মিশরের তৎকালীন শাসকগোষ্ঠীকে ভীত করে তোলে। মাত্র ৪৩ বছর বয়সে ১৯৪৯ সালে শাসকশ্রেণীর লেলিয়ে দেওয়া গুন্ডার গুলিতে তিনি নিহত হন। নাৎসী জার্মানীর সাথে সম্পর্ক ১৯৩০-এর শুরুতে হিটলার যখন জার্মানির ক্ষমতা গ্রহণ করেন তখন হাসান আল বান্নার সাথে নাৎসীদের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তিনি হিটলারকে ওয়াদা করেন এই বলে যে, জেনারেল রোমেলের প্যাঞ্জার ডিভিশন যখন কায়রো আর আলেকজান্দ্রিয়ায় প্রবেশ করবে, তখন ব্রিটিশ বাহিনী যাতে সম্পূর্ণ নির্মূল হয় তা মুসলিম ব্রাদারহুড নিশ্চিত করবে। তিনি হিটলারের মাইন কাম্ফ অনুবাদ করে আমার জিহাদ নামে সমগ্র মিশরে ছড়িয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:মুসলিম দার্শনিক বিষয়শ্রেণী:১৯০৬-এ জন্ম বিষয়শ্রেণী:১৯৪৯-এ মৃত্যু
হাসান আল বান্না
রোমানিয়া ( রোম্যিনিয়া আ-ধ্ব-ব /ro'mɨ.ni.ja/) দক্ষিণ-পূর্ব ইউরোপের একটি রাষ্ট্র। এর উত্তর-পূর্বে রয়েছে ইউক্রেন ও মলদোভা, পশ্চিমে হাঙ্গেরি এবং সার্বিয়া, দক্ষিণে বুলগেরিয়া ও দানিউব নদী। রোমানিয়ার পূর্বদিকে রয়েছে কৃষ্ণ সাগর, আর কার্পেথিয়ান পর্বতমালার পূর্ব ও দক্ষিণাংশ রোমানিয়ার মধ্যভাগে অবস্থিত। এর রাজধানীর নাম বুখারেস্ট। স্বাধীনতার পূর্বে এটি উসমানীয় সাম্রাজ্য অংশ ছিল ।রোমানিয়া ২০০৪ সাল হতে ন্যাটোর সদস্য, এবং অচিরেই এটি ইউরোপীয় ইউনিয়নে যোগ দিতে যাচ্ছে। ১ জানুয়ারি, ২০০৭ থেকে রোমানিয়া ইউরোপীয় ইউনিয়নের পূর্ণাঙ্গ সদস্য । রোমানিয়া হল ইউরোপীয় ইউনিয়নের নবম বৃহত্তম আয়াতনের দেশ । এর আয়াতন হল ২৩৮.৪০০ বর্গ কিলোমিটার (৯২,০০০ বর্গ মাইল) । রোমানিয়া ইউরোপীয় ইউনিয়নের সপ্তম বৃহত্তম জনসংখ্যার দেশ । রোমানিয়ার জনসংখ্যার ১৯ মিলিয়ন এর উপর । রোমানিয়ার রাজধানী বুখারেস্ট ইউরোপীয় ইউনিয়নের দশম বৃহত্তম শহর যাতে প্রায় ২ মিলিয়ন বা ২০ লাখ লোকের বসবাস । ইতিহাস ১৫ শতকে উসমানীয় খেলাফতের শাসনাধীন এলাকা ছিল, ১৯ শতকে দিকে রাশিয়ার জার সাম্রাজ্যের সাহায্যে রোমানিয়ার প্রিন্স উসমানীয় সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে ও উসমানীয় সাম্রাজ্যকে প্লেভেনের যুদ্ধে পরাজিত করে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ। ভূগোল রোমানিয়া দক্ষিণ-পূর্ব ইউরোপের বৃহত্তম দেশ এবং ইউরোপের দ্বাদশতম বৃহত্তম দেশ। এর আয়তন ২৩৮,৩৯৭ বর্গকিলোমিটার (৯২,০৪৬ বর্গ মাইল)। এটি ৪৩° উত্তর অক্ষাংশ থেকে ৪৯° উত্তর অক্ষাংশ পর্যন্ত এবং২০° পূর্ব দ্রাঘিমাংশ থেকে ৩০° পূর্ব দ্রাঘিমাংশের মধ্যে অবস্থিত। অঞ্চলটি প্রায় সমানভাবে পর্বত, পাহাড় এবং সমভূমির মাঝে বিতরণ করা। সরকার রোমানিয়ার সংবিধান ফ্রান্সের পঞ্চম প্রজাতন্ত্রের সংবিধানের উপর ভিত্তি করে তৈরি এবং তা ১৯৯১ সালের ৮ ই ডিসেম্বর একটি জাতীয় গণভোটে অনুমোদিত হয়েছিল। এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন পার্লামেন্টের সাথে সামঞ্জস্য আনার জন্য ২০০৩ সালের অক্টোবরে সংশোধন আনা হয়েছিল। দেশটিতে বহুদলীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা বিদ্যমান এবং আইনসভা, নির্বাহী ও বিচার বিভগের মধ্যে ক্ষমতা ভাগাভাগির ভিত্তিতে পরিচালিত হয়। এটি একটি অর্ধ-রাষ্ট্রপতিশাসিত প্রতিনিধিত্বমূলক বহুদলীয় গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কাঠামোয় সংঘটিত হয়, যেখানে রাষ্ট্রপতি হলেন রাষ্ট্রের প্রধান। সরকারপ্রধান হলেন প্রধানমন্ত্রী। রাষ্ট্রের নির্বাহী ক্ষমতা সরকারের উপর ন্যস্ত। আইন প্রণয়নের ক্ষমতা সরকার এবং দ্বিকাক্ষিক আইনসভা উভয়ের উপর ন্যস্ত। বিচার বিভাগ নির্বাহী বিভাগ ও আইনসভা হতে স্বাধীন। রাষ্ট্রপতি জনগণের সরাসরি ভোটের মাধ্যমে পাঁচ বছরের জন্য সর্বোচ্চ দু'বার নির্বাচিত হন এবং তিনি প্রধানমন্ত্রীকে নিয়োগ দেন, যিনি পরবর্তীতে মন্ত্রিপরিষদ নিয়োগ করেন। অর্থনীতি ২০১১ সালের জিডিপি ২৬৪ বিলিয়ন ও মাথাপিছু জিডিপি ১২,৩৫৮ ডলারে, রোমানিয়া উচ্চমধধ আয়ের দেশ এবং এটি ১ জানুয়ারি ২০০৭ থেকে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন এর সদস্য। জনসংখ্যা ২০১১ সালের আদমশুমারী অনুযায়ী রোমানিয়ার জনসংখ্যা ছিল ২০,১২১,৬৪১ জন। অঞ্চলের অন্যান্য দেশের মতো, উপ-প্রতিস্থাপনের উর্বরতা হার এবং নেতিবাচক নিট স্থানান্তর হারের ফলে আসন্ন বছরগুলিতে এর জনসংখ্যা ধীরে ধীরে হ্রাস পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। ২০১১ সালের অক্টোবরের হিসেব অনুযায়ী রোমানিয়ার জনসংখ্যার ৮৮.৯% রোমিানিয়ান, বৃহত্তম জাতিগত সংখ্যালঘু হলেন হাঙ্গেরিয়ান, তারা জনসংখ্যার ৬.১% এবং রোমা জনসংখ্যার ৩.০%। হাঙ্গেরিয়ানরা হারগিতা এবং কোভাসনা অঞ্চলে সংখ্যাগরিষ্ঠ। অন্যান্য সংখ্যালঘুদের মধ্যে ইউক্রেনীয়, জার্মান, তুর্কি, লাইপোভানস, অ্যারোমানীয়, টাটার এবং সার্বস অন্তর্ভুক্ত। ১৯৩০ সালে, রোমানিয়ায় ৭৪৫,৪২১ জন জার্মান ছিল, তবে আজ প্রায় ৩৬,০০০ জনে নেমেছে। ২০০৯ পর্যন্ত রোমানিয়ায় প্রায় ১৩৩,০০০ অভিবাসী বাস করতেন, যারা মূলত মোলদোভা এবং চীন থেকে এসেছে। ধর্ম রোমানিয়া একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র এবং এর কোন রাষ্ট্রীয় ধর্ম নেই। জনসংখ্যার সিংহভাগ খ্রিস্টান হিসাবে তাদের পরিচয় দেয়। ২০১১ সালের আদমশুমারিতে, রোমানিয়ান অর্থোডক্স চার্চের অন্তর্ভুক্ত অর্থোডক্স খ্রিস্টান হিসাবে পরিচয় দাতাদের সংখ্যা মোট জনসংখ্যার ৮১.০%। অন্যান্য সংখ্যার মধ্যে রয়েছে প্রোটেস্ট্যান্টাইন (৬.২%), রোমান ক্যাথলিক (৪.৩%) এবং গ্রীক ক্যাথলিক (০.৮%)। বাকী জনসংখ্যার মধ্যে ১৯৫,৫৬৯ জন অন্যান্য খ্রিস্টীয় সম্প্রদায়ভুক্ত বা অন্য একটি ধর্মের অন্তর্ভুক্ত, যার মধ্যে ৬৪,৩৭৭ জন মুসলমান (বেশিরভাগ তুর্কি ও তাতারি নৃগোষ্ঠীর) এবং ৩,৫৯৯ ইহুদি (ইহুদিরা একবার রোমানিয়ান জনসংখ্যার ৪% গঠন করেছিল, ১৯৩০ সালের আদমশুমারিতে ৭২৮,১১৫ জন ছিল)। তদুপরি, ৩৯,৬৬০ জনের কোন ধর্ম নেই বা নাস্তিক, যদিও বাকিদের ধর্ম অজানা। শিক্ষা ১৯৮৯ সালে রোমানীয় বিপ্লবের পর থেকে রোমানিয়ান শিক্ষাব্যবস্থা সংস্কারের ধারাবাহিক প্রক্রিয়াধীন ছিল যা মিশ্র সমালোচনা পেয়েছে। ২০০৪ সালে প্রায় ৪,৪০০,০০০ জন মানুষ স্কুলে ভর্তি হয়েছিল। এর মধ্যে কিন্ডারগার্টেনে ৬৫০,০০০ (৩ থেকে ৬ বছর), প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে ৩১১,০০০ জন এবং তৃতীয় স্তরে (বিশ্ববিদ্যালয়) ৬৫০,০০০ জন। ২০১৮ সালে রোমানিয়ার স্বাক্ষরতার হার ছিল ৯৮.৮%। আরও দেখুন তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ বিষয়শ্রেণী:ইউরোপের রাষ্ট্র
রোমানিয়া
ভালুকা বাংলাদেশের ময়মনসিংহ জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা। এটি বাংলাদেশের প্রথম মডেল থানা এবং দেশের অন্যতম বিসিক শিল্প নগরী । অবস্থান ভালুকাকে ময়মনসিংহের দরজা বলা হয়। ঢাকা থেকে ঢাকা-ময়মনসিংহ জাতীয় চারলেন মহাসড়ক পথে রাজেন্দ্রপুর সেনানিবাস (গাজীপুর) ও মাওনা শ্রীপুর হয়ে (প্রায় ৭০কিঃমিঃ) পর ভালুকা উপজেলা। উত্তরে ত্রিশাল উপজেলা, দক্ষিণে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলা (গাজীপুর), পূর্বে গফরগাঁও উপজেলা, পশ্চিমে ফুলবাড়িয়া উপজেলা ও টাঙ্গাইলের সখিপুর উপজেলা অবস্থিত। যোগাযোগ ঢাকা থেকে ৭০ কি মি দূরত্বে অবস্থিত শিল্পনগরী ভালুকা। চার লেন ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক দ্বারা খুব সহজেই ভালুকায় পৌছানো যায়। প্রশাসনিক এলাকা ভালুকা উপজেলার আয়তন ৪৪৪.০৫ বর্গ কিলোমিটার। এ উপজেলায় বর্তমানে ১টি পৌরসভা ও ১১টি ইউনিয়ন রয়েছে। সম্পূর্ণ উপজেলার প্রশাসনিক কার্যক্রম ভালুকা থানার আওতাধীন। পৌরসভা: ভালুকা ইউনিয়নসমূহ: ১নং উথুরা ২নং মেদুয়ারী ৩নং ভরাডোবা ৪নং ধীতপুর ৫নং বিরুনিয়া ৬নং ভালুকা ৭নং মল্লিকবাড়ী ৮নং ডাকাতিয়া ৯নং কাচিনা ১০নং হবিরবাড়ী ১১নং রাজৈ এ উপজেলায় ৮৭টি মৌজা ও ১১০টি গ্রাম রয়েছে। ইতিহাস মূলতঃ ভালুকা গ্রাম ও ভালুকা বাজারকে কেন্দ্র করেই পরবর্তী সময়ে ভালুকা থানা ও ভালুকা উপজেলার নামকরণ করা হয়েছে। ভালুকা নামকরণ বিষয়ে বেশ কয়েকটি জনশ্রুতি প্রচলিত রয়েছে। এই জনশ্রুতি গুলোর মধ্যে তিনটি জনশ্রুতিই সবচেয়ে বেশি উল্লেখযোগ্য। এই তিনটি জনশ্রুতির একটি হলো ব্রিটিশ শাসন যখন বাংলাদেশে পাকাপোক্তভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়, তখন নীলকর সাহেবগণ তাঁদের নিজস্বার্থ চরিতার্থ করার জন্যে বিভিন্ন জায়গায় নীলকুঠি স্থাপন করেন। নীলকুঠি স্থাপনের পর নীলকর সাহেবগণ মাঝে মধ্যে শিকার করতে বের হতেন। শিকার করতে বের হয়ে নীলকর সাহেবগণ বনে-জঙ্গলে বাঘ, ভাল্লুক দেখতে পেতেন। আর এ কারণেই নীলকর সাহেবদের কাছে এই এলাকা ভল্লুক এলাকা হিসেবে পরিচিতি পেয়ে যায়। পরবর্তী সময়ে ভল্লুক এর অপভ্রংশ হিসেবে উৎপত্তি ঘটে ভালুকা নামের। দ্বিতীয় জনশ্রুতি হচ্ছে, বর্তমান ভালুকা বাজারের দু’টি অংশ রয়েছে। এর একটি হচ্ছে পূর্ব অংশ, অন্যটি হচ্ছে পশ্চিমাংশ। পূর্ববাজারসহ গোটা ভালুকাই ছিলো ভাওয়াল পরগণার অন্তর্ভুক্ত। অবশ্য ভালুকার পশ্চিম বাজার ছিলো মুক্তাগাছার জমিদার মহারাজ শশীকান্তের জমিদারির আওতাভূক্ত। সেখানে জঙ্গলের ভেতর একটি মাজার ছিলো। এর খাদেম ছিলেন ওয়াহেদ আলী ফকির ও তৈয়বজান বিবির পিতা বুচাই ফকির। মরহুম খান সাহেব আবদুল্লাহ চৌধুরীর নির্দেশে তাঁর সমসাময়িক বেশ ক’জন বিশ্বস্ত লোক মনসুর আলী খান, জয়েদ আলী ও জয়েদ খানের সহযোগিতায় ভালুকা বাজার সৃষ্টি হয়। পূর্ব বাজারে একটি কাঁচারী ঘর ছিলো। সেখানে ভাওয়াল রাজার নামে খাজনা আদায় করা হতো। ভাওয়ালের কাঁচারীর নাম হয়ে ছিলো ভাওয়ালের নাম অনুসারেই। পরবর্তী সময় বাজারসহ গ্রামের নামকরণ হয় ভালুকা। ১৯১৭ সালে গফরগাঁও থানাকে বিভক্ত করে ভালুকা থানা প্রতিষ্ঠিত হয়। তৃতীয় জনশ্রুতিটি হচ্ছে ভালুক চাঁদ মন্ডল ছিলেন আদিবাসী কোচ বংশের সর্দার। ভালুক চাঁদ এর নামানুসারে ভালুকা নামের সৃষ্টি হয়েছে। উথুরা ইউনিয়নে ও বর্তমান ডাকাতিয়া অঞ্চলে কোচ বংশের লোকজনের অধিবাস এখনো রয়েছে। উল্লেখ করা যেতে পারে যে, বর্তমানে কোচ বংশের লোকজন বর্মণ পদবী 'ধারণ করেছে। মুক্তিযুদ্ধে অবদান মুক্তিযুদ্ধের সময় ১১ নাম্বার সেক্টরের অধীনে থাকা ভালুকা পাকিস্তানি দখল মুক্ত হয় ৮ ডিসেম্বর। ভালুকার মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে যার ভূমিকা অন্যতম তিনি হলেন বীর মুক্তিযুদ্ধা মেজর আফসার উদ্দিন। তার পরিচালিত বাহিনীকে আফসার বাহিনী বলা হত। মেজর আফসারের বাহিনীতে সেনাবাহিনীর নিয়মানুযায়ী ৫টি ব্যাটেলিয়নে ২৫টি কোম্পানি গঠন করা হয়। প্রত্যেক কোম্পানিতে ৩টি প্লাটুন, প্রত্যেক প্লাটুনে ৩টি সেকশন এবং প্রত্যেক সেকশনে ১৫ জন করে মুক্তিযুদ্ধা ছিল। তৎকালীন রাজশাহী ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ছাত্র সংসদের সহসভাপতি ছিলেন ভালুকার মোঃ আব্দুল মান্নান যিনি প্রথম ৩টি ৩০৩ রাইফেল জোগাড় করে মেজর আফসার উদ্দিনকে ট্রেনিং শুরু করতে অনুরোধ করেন এবং নিজেও সেই বাহিনীতে যোগ দেন। এই বাহিনীর উল্লেখযোগ্য যুদ্ধের মধ্যে অন্যতম হলো- বাটাজোর (১৪ আগস্ট), কাচিনা, ডাকাতিয়া, পাঁচগাঁও, কাতলামারি, রাজৈ, ফুলবাড়িয়া ও কালিয়াকৈর ইত্যাদি জায়গায় এ বাহিনী বিপুল বিক্রমে যুদ্ধ করে। তার মধ্যে অন্যতম হল ভাওয়ালিয়াবাজু যুদ্ধ। মেজর আফসার উদ্দিনের নেতৃত্বে ২৬ জুন ভালুকা থানায় এ যুদ্ধ সংগঠিত হয়। ৪৮ ঘণ্টা স্থায়ী ভাওয়ালিয়াবাজু যুদ্ধে ৫০ জন পাকসেনা খতম হয়। শহীদ হন আরেক বীর মুক্তিযুদ্ধা আবদুল মান্নান। জনসংখ্যার উপাত্ত মোট_জনসংখ্যা= ৩০৮,৭৫৮ জন (২০১১ সনের আদমশুমারী অনুযায়ী), পুরুষ= ১৫৮,০০৩জন, মহিলা= ১৫০৭৫৫ জন। মুসলিম=৯৪%, হিন্দু=৫%, অন্যান্য=১%। জনসংখ্যার প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ৬৯৫ জন, মোট খানার সংখ্যা ৭২,০৬৯টি, বার্ষিক জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১.৫৪% বর্তমানে (২০১৯) স্থানীয় ধারণা অনুযায়ী ভালুকায় বিশাল বহিরাগত জনসংখ্যাসহ ১৫ লক্ষাধিক মানুষ বসবাস করছে ,এবং এ থেকে বর্তমান ২০১৯ এ ভালুকার জনসংখ্যার বিশালতা ধারণা করা যায়। শিক্ষা শিক্ষার হার=৪৯.৮%। মোট সাক্ষর জ্ঞান সম্পন্ন জনগন:১৭৯৮৬১। মোট প্রাথমিক বিদ্যালয় ২১৭টি (সরকারী ৯৪টি, বেসরকারী রেজিষ্টার্ড ৩৫টি, আন রেজিষ্টার্ড ১টি, উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন ৮টি, কিন্ডার গার্ডেন ৬টি, স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদ্রাসা ১১টি, উচ্চ মাদ্রাসা সংলগ্ন ৩৭টি, কমিউনিটি ২৫টি), নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১১টি, ৯ম শ্রেণীর অনুমতি প্রাপ্ত বিদ্যালয় ৭টি, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৩৩টি, স্কুল এন্ড কলেজ ৩টি, উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১টি, ডিগ্রী কলেজ ২টি (সরকারী), ফাযিল মাদ্রাসা ৩টি, আলিম মাদ্রাসা ২টি, দাখিল মাদ্রাসা ৩৬টি। উল্লেখযোগ্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দাখিল মাদ্রাসা মেদিলা মুসাফির মঞ্জিল দাখিল মাদ্রাসা। বাটাজোর এম. ইউ. দাখিল মাদ্রাসা। তামাট ইসলামীয়া দাখিল মাদ্রাসা। তালাব দাখিল মাদ্রাসা। আল কদ্দুস দাখিল মাদ্রাসা গোলাপবাগ দাখিল মাদ্রাসা হবিরবাড়ী বাহারুল উলুম আলীম মাদ্রাসা। বাদেপুরুড়া বালিকা দাখিল মাদ্রাসা মরচী মধ্যেপাড়া দাখিল মাদ্রাসা হবিরবাড়ী আমতলি সাবিহা সুলতানা দাখিল মাদরাসা মাধ্যমিক বিদ্যালয় ভালুকা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়[] ডাকাতিয়া শহীদ মুক্তিযোদ্ধা উচ্চ বিদ্যালয়। ভালুকা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। ভরাডোবা উচ্চ বিদ্যালয়। ভরাডোবা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। বাটাজোর বি.এম উচ্চ বিদ্যালয় আংগারগাড়া ইউনাইটেড উচ্চ বিদ্যালয়। মেদিলা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় হবিরবাড়ী ইউনিয়ন সোনার বাংলা উচ্চ বিদ্যালয়। হালিমুন্নেছা চৌধুরাণী মেমোরিয়াল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। শমলা তাহের আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়। জামিরদিয়া আঃ গণি মাস্টার উচ্চ বিদ্যালয়। আশকা উচ্চ বিদ্যালয় কংশেরকুল উচ্চ বিদ্যালয় সাইদুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয় ঝালপাজা উচ্চ বিদ্যালয়। কলেজ ভালুকা সরকারি কলেজ। এ্যাপোলো ইন্সটিটিউট অব কম্পিউটার বি. এম. কলেজ। উথুরা হাই স্কুল এন্ড কলেজ। ধলিয়া বহুলী স্কুল এন্ড কলেজ। সায়েরা সাফায়েত স্কুল এন্ড কলেজ। বাটাজোর সোনার বাংলা ডিগ্রী কলেজ বিরুনিয়া সদর আলী সরকার মহিলা কলেজ। শহীদ নাজিম উদ্দিন স্কুল এন্ড কলেজ। শহীদ স্মৃতি বি এম কলেজ -বান্দিয়া অর্থনীতি প্রধান খাত-শিল্প। বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে দেশীয় অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা রেখেছে। এছাড়া কৃষি ও মৎস্য খাতও ‌অর্থনীতিতে প্রভাব বিস্তার করে। নির্বাচন সংক্রান্ত নির্বাচনী এলাকা ১৫৬-ময়মনসিংহ ১১। ভোটার সংখ্যা পুরুষ ১১৪৪২২ জন, মহিলা ১১৯৩৯৭ জন, মোট ২৩৩৮১৯ জন। বর্তমান সাংসদ কাজিম উদ্দিন আহম্মেদ ধনু, এম পি বিবিধ শিল্প অঞ্চল ও শিল্প অসংখ্য টেক্সটাইল মিলস,ঔষধ কারখানা,কুমির খামার,সিরামিক শিল্প,স্পিনিং মিলস,কোমল পানীয় কারখানা,স্যালাইন কারখানা,ফিস ফিড,চালের মিল,মোটরযান কারখানা,গ্লাস কারখানা এবং দক্ষিণ ভালুকায় রয়েছে ভারী শিল্প ও আন্তর্জাতিক মানের পোশাক শিল্পাঞ্চল। ভালুকার মোট আয়তনের ৩১.৭% (৪৭৩৫৬ বর্গকি মি) জমির উপর শিল্পকারখানা অবস্থিত। প্রাকৃতিক সম্পদ কাদিগড় জাতীয় উদ্যান এই উপজেলায় অবস্থিত একটি জাতীয় উদ্যান। ২০১০ সালের ২৪ অক্টোবর এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। ৩৪৪.১৩ হেক্টর জমি নিয়ে এই জাতীয় উদ্যানটি গঠিত। এছাড়া মোট বনভূমি ২৩০৭৮.২৬ একর। বালু মহল আছে। নদীসমূহ ভালুকা উপজেলায় অনেকগুলো নদী আছে। সেগুলো হচ্ছে খিরু নদী, সুতিয়া নদী, কাওরাইদ নদী, বাজুয়া নদী, লাউতি নদী বিলাই জুড়ি ও মিয়াবুয়া নদী। খিরু নদী ও ভালুকা শীতলক্ষার একটি শাখা নদী খিরু নদী। ভালুকা বাজারের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে নদীটি। নদীটির দুই পাড়ের নৈসর্গিক দৃশ্য অনেক নয়নাভিরাম সৌন্দর্য দেখে মনপ্রাণ মুগ্ধ হয়ে যায়।এককালে ভাটি অঞ্চলের মানুষ বিশেষকরে বরমীবাজার,কাওরাইদ বাজার,পারুলদিয়া বাজার, ঝালপাজা বাজার,পনাশাইল বাজার,মল্লিকবাড়ী বাজার অনবরত যাতায়াত ছিল এইনদী পথে।সময়ের ব‍্যবধানে সেই জনপদগুলো আজ বিলুপ্তির দিকে।এইনদীর মাছ অনেক নদীর তুলনায় খেতে খুব সুস্বাদু ছিল।। সারি সারি পালের নৌকায় মাঝির কন্ঠে ভাটিয়ালি শোনা যেত।নৌকা বাইচ ছিল খুব এই নদীতে জনপ্রিয়।প্রতি বর্ষায় আসর বসত উত্তেজনাপূর্ণ নৌকা বাইচের। বিভিন্ন জেলার বণিকদের যাতায়াতের পথ ছিল এই নদী ।স্ক‍্যা্রা্যা্র্যা্রা্যা্্যা্রা্য্যা্রা্্যা্রা্যা্র্ কৃষি মোট জমি ৪৪৪০৫ হেক্টর। এক ফসলী জমি ৫২২৩ হেক্টর, দুই ফসলী জমি ১৯৫৩৮ হেক্টর, তিন ফসলী জমি ১৬৮৯৭ হেক্টর। নীট ফসলী জমি ৪১৬৫৮ হেক্টর, মোট ফসলী জমি ৯৪৯৯০ হেক্টর, ফসলের নিবিড়তা ২২৮%। বর্গাচাষী ৮০০০ জন, প্রান্তিক চাষী ২৪০১১ জন, ক্ষুদ্র চাষী ৯০০০ জন, মাঝারি চাষী ৮৩২৮ জন, বড় চাষী ২০০০ জন। কৃষি ব্লকের সংখ্যা ৩১টি, কৃষি বিষয়ক পরামর্শ কেন্দ্র ৩১টি, সয়েল মিনিল্যাব ৫টি, বিএডিসি বীজ ডিলার ১৯ জন, বিসিআইসি সার ডিলার ১০ জন। স্বাস্থ্যকেন্দ্র উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লে­ক্স ১টি (৫০ শয্যাবিশিষ্ট), পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ৭টি, উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র ৩টি, কমিউনিটি ক্লিনিক ২৬টি। সরকারী অ্যাম্বুলেন্স ১টি। এবং হবিরবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান দান করেছে ১টি অ্যাম্বুলেন্স। পেশা কর্মজীবী:১৪৯,৫২৩জন(৪০.৮%) ; কর্মসন্ধানি:২৮৬১জন গৃহস্থালির কাজ: ১০৭,৬০৫জন(২৯.৪%) কোন কাজ করেন না: ১০৬,১৯২জন(২৯%) রপ্তানিতে অবদান বিসিক শিল্পাঞ্চল ভালুকায় অবস্থিত অসংখ্য গার্মেন্টস টেক্সটাইল ও বিভিন্ন শিল্পকারখানা থেকে তৈরি পোশাকসহ অসংখ্য পণ্য নিয়মিত বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে ,যা দেশের শিল্প খাতে ব্যাপক ভুমিকা রাখছে। দেশের বিভিন্ন জেলার লাখ লাখ জনগনের কর্মসংস্থান দিচ্ছে গার্মেন্টস ও টেক্সটাইল ফ্যাক্টরিগুলো। বানি্জ্যিকভাবে মাছ উৎপাদনে ভালুকার ব্যাপক সুনাম রয়েছে।পেশা হিসেবে অসংখ্য উদ্যোক্তা মাছ চাষকে বেছে নিয়েছেন। অধিকাংশ জলাশয়েই বাণিজ্যিক ভাবে মাছ চাষ হচ্ছে। রুই, কাতলা, পাঙাশ, তেলাপিয়া, কই, মাগুর ও শিং জাতের মাছ চাষ হচ্ছে বাণিজ্যিকভিত্তিতে।২০১৭-১৮ অর্থবছরে সারা দেশে মাছ উৎপাদিত হয়েছে ৪২ লাখ মেট্রিক টন এবং ময়মনসিংহ জেলায় মাছ উৎপাদন হয়েছে ৪ লাখ ৪৮ হাজার ৮৮২ মেট্রিক টন।সে মতে সারাদেশের মোট উৎপাদিত মাছের প্রায় ১০ ভাগ উৎপাদিত হয় ময়মনসিংহে,যা অর্জনে সবচেয়ে বেশি অবদান ভালুকার। ভালুকার হাতিবেড় গ্রামে দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম কুমির প্রজনন খামার রেপটাইলস। ২০০৪ সালে মাত্র ৭৫টি কুমির দিয়ে খামারের যাত্রা শুরু,পরে কুমিরের ডিম থেকে কৃত্রিমভাবে বাচ্চা ফোটানো হয়। বর্তমানে এ খামারে কুমিরের সংখ্যা আড়াই হাজারের অধিক।জাপান (২০১৪, ১৫ ও ১৬ সালে) ও জার্মানিতে (২০১০ সালে) মোট চারবার জ্যান্ত কুমির এবং চামড়া রপ্তানি করেছে। বাংলাদেশ থেকে প্রথমবার এই ফার্ম থেকেই কুমিরের মাংস, চামড়া, দাঁত ও হাড় রপ্তানি করে প্রায় পাঁচ কোটি টাকা আয় হয়েছে। বর্তমানে প্রতি বছর প্রচুর কুমির রপ্তানি হচ্ছে। কৃষির আধুনিকায়নের ছোয়ায় প্রচলিত চাষাবাদের সাথেও ভালুকার গ্রামাঞ্চলে অনেক উদ্যোক্তা নতুন ধারায় চাষাবাদ করছেন। বানিজ্যিকভাবে খামার,ফলের বাগান, ফুলের বাগানে শিক্ষিত উদ্যোক্তাদের পদচারণা। বিনোদন ভালুকায় রয়েছে কাদিগড় জাতীয় উদ্যান, তেপান্তর সুটিং স্পট , ড্রীম হলিডে রিসোর্ট, আলাউদ্দিন রিসোর্ট, কুমির খামার, মোতালেবের সৌদিয়া খেজুর বাগান। খেলাধুলা ক্রিকেট, ফুটবল, কাবাডি, এক্কাদোক্কা, দাড়িয়াবান্ধা, গোল্লাছুট, কানামাছি, বউচি, দাবা ইত্যাদি। সংস্কৃতি মৈমনসিংহ গীতিকা, ফকিরি গান ( জনপ্রিয় ), বাউল গান, যাত্রা ইত্যাদি। উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব ভাষা সৈনিক এডভোকেট মোস্তফা এম.এ মতিন এমপি কাজিম উদ্দিন আহম্মেদ মোহাম্মদ আমানউল্লাহ চিত্রশালা আরও দেখুন ময়মনসিংহ জেলা; ময়মনসিংহ বিভাগ; বাংলাদেশের উপজেলাসমূহ। তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ বিষয়শ্রেণী:ভালুকা উপজেলা বিষয়শ্রেণী:ময়মনসিংহ জেলার উপজেলা বিষয়শ্রেণী:ময়মনসিংহ বিভাগের উপজেলা বিষয়শ্রেণী:ময়মনসিংহ জেলার জনবহুল স্থান
ভালুকা উপজেলা
কাবাব হল মধ্যপ্রাচ্যের রান্না থেকে আসা বিভিন্ন রকম রান্না করা মাংসের পদ। এই খাবারের বিভিন্ন ধরন বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয়। বেশিরভাগ ইংরেজিতে বার্তালাপকারী দেশসমূহতে কাবাব সাধারণত আন্তর্জাতিকভাবে শিক কাবাব বা শাশলিক নামে পরিচিত, যদিও উত্তর আমেরিকার বাইরে কাবাব বলতে বোঝায় পথ চলতি খাবার বা ডোনার কাবাব বা এর বিভিন্ন বৈচিত্র্য। মধ্যপ্রাচ্য, এশিয়ার অন্যান্য অঞ্চল এবং মুসলিম বিশ্বের ভাষায়, কাবাব হল বিভিন্ন ধরনের পোড়ানো মাংসের খাবারগুলির মধ্যে একটি। মধ্যপ্রাচ্যের কাবাব থেকে প্রাপ্ত কিছু খাবারের স্থানীয় ভাষায় বিভিন্ন নাম থাকতে পারে, যেমন চৈনিক চুয়ান। কাবাব পদগুলিতে কাটা বা পেষাই করা মাংস বা সীফুড ব্যবহার করা হয়, কখনও কখনও নির্দিষ্ট রন্ধন প্রণালী অনুসারে এর সঙ্গে ফল, শাকসবজি এবং অন্যান্য বিভিন্ন অনুষঙ্গ ব্যবহার হয়। যদিও কাবাবগুলি প্রায়শই আগুনের উপরে লোহার শিকে গেঁথে রান্না করা হয়, এগুলি আগুনের ওপর এইভাবে না রেখেও রান্না করা যায়। আগুনে একটি পাত্রে রেখে শেঁকে (বেক) বা ভাপে সিদ্ধ করেও প্রস্তুত করা যায়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কাবাবের জন্য ব্যবহৃত মাংস ভেড়ার মাংস হয়, তবে আঞ্চলিক রন্ধন প্রণালীগুলিতে গরুর মাংস, ছাগল, মুরগী, মাছ, শুয়োরের মাংস অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে, কখনো কখনো ধর্মীয় নিষেধাজ্ঞার কারণে শুয়োরের মাংস ব্যবহার হয় না। ইতিহাস মধ্যপ্রাচ্যে হোমিনিন প্রজাতি দ্বারা আগুনের ব্যবহার করে রান্নার প্রমাণ ৭৯০,০০০ বছর আগেও পাওয়া গেছে, এবং কমপক্ষে ২৫০,০০০ বছর আগেকার প্রাগৈতিহাসিক আখা, মাটির উনুন এবং প্রাণীদের পোড়া হাড় ইউরোপ এবং মধ্য প্রাচ্য থেকে পাওয়া গেছে। আকরোতিরির মিনোয়ান বসতি খনন করে আগুনের ওপর শিক রাখার জন্য পাথর পাওয়া গেছে, যেগুলি খ্রিস্টপূর্ব ১৭শ শতকের আগে ব্যবহার হয়েছে। প্রাচীনকালে, হোমারের লেখা ইলিয়াড (১.৪৬৫) থেকে স্পিট (একটি লম্বা কঠিন দণ্ড, যা খাদ্য ধরে রাখতে ব্যবহৃত হয়)য়ে (), রেখে মাংস পোড়ানোর কথা পাওয়া গেছে।প্রাচীন ভারতীয় রচনা মহাভারতেও স্পিটে এ পোড়ানো মাংসের কথা পাওয়া গেছে। ইবনে সাইয়ার আল-ওয়ারাক এর দশম শতাব্দীর বাগদাদী বই কিতাব আল-তাবিখ , যেখানে পরম্পরায় পাওয়া মেসোপটেমিয়া, পারস্য এবং আরব খাবারের একটি মিশ্রিত রন্ধন প্রণালী আছে, সেখানে কাটা মাংসের কাবাব এর বর্ণনা রয়েছে, সেগুলি হয় পাত্রে রেখে ভাজা বা আগুনে পোড়ানো। এই অঞ্চলে, ছোট ছোট খণ্ড বা মাংসের টুকরোগুলি রান্না করার পদ্ধতিটির একটি দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে, যেখানে কসাইয়ের দোকানে মাংসের ছোট ছোট টুকরো পাওয়া যেত এবং যেখানে রান্নার জ্বালানী তুলনামূলকভাবে খুব কম পাওয়া যেত, সেই শহরগুলিতেই এগুলি কার্যকর হত। তুলনামূলকভাবে ইউরোপে, যেখানে বনজ সম্পদ অনেক বেশি, সেখানে মাংসের বড় বড় টুকরো একসাথে পুড়িয়ে রান্না করা হত। প্রকৃতপক্ষে, বহু সংস্কৃতিতে পাওয়া গেছে লোহার শিকে মাংস গেঁথে আগুনের উপরে রেখে রান্না করা, যেমন অ্যান্টিকুচো, যেটি ইউরোপ এবং এশিয়ার সাথে যোগাযোগের অনেক আগে থেকেই দক্ষিণ আমেরিকায় রান্না করা হত। তবে, ইংরেজিতে, কাবাব বা শিশ কাবাব বলতে কখনও কখনও একটি রন্ধনসম্পর্কীয় শব্দ হিসাবে ব্যবহার হয়, যেটি কোনও শিকের উপরে ছোট ছোট মাংস রান্না করাকে বোঝায়, কাবাব মূলত পারস্য এবং তুরস্কের মধ্যযুগীয় রান্নাঘরে তৈরি মাংসের বিভিন্ন খাবারগুলির সাথে সম্পর্কিত। যদিও শব্দটির উৎস প্রাচীনকালের সঙ্গে সম্পর্কিত, তুর্কিরা একে জনপ্রিয় করে তুলেছিল, যেগুলি লোহার শিকে রান্না করা হত, তবে স্টু, মাংসের বল এবং অন্যান্য ধরনেও রান্না হত। মুসলিম প্রভাবের সাথে সমান্তরাল ভাবে এই খাবারটি বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে। মরক্কো ভ্রমণকারী ইবন বতুতার মতে, দিল্লি সুলতানির সময় (১২০৬-১৫২৬) রাজবাড়িতে কাবাব পরিবেশিত হত, এমনকি সাধারণ মানুষেরাও প্রাতঃরাশে নানের সাথে এটি উপভোগ করত। কাবাবের রন্ধন প্রণালী স্থানীয় রান্নার শৈলী এবং অভিনবত্বের সাথে গৃহীত হয়েছে এবং সংহত করা হয়েছে। এখনকার সর্বব্যাপী পথচলতি খাবার ডোনার কাবাব থেকে শুরু করে, সুতি কাবাব ও শিশ কাবাবের বিভিন্ন প্রকরণ পর্যন্ত, যেমন দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া এর সাটায়। right|thumb|বিভিন্ন ধরনের ইরানী শিক কাবাব তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:কাবাব বিষয়শ্রেণী:প্রাচীন খাবার বিষয়শ্রেণী:আফগানি রন্ধনশৈলী বিষয়শ্রেণী:আরব রন্ধনশৈলী বিষয়শ্রেণী:ফিলিস্তিনী রন্ধনশৈলী বিষয়শ্রেণী:লেবাননী রন্ধনশৈলী বিষয়শ্রেণী:আর্মেনীয় রন্ধনশৈলী বিষয়শ্রেণী:আশারীয় রন্ধনশৈলী বিষয়শ্রেণী:আজারবাইজানী রন্ধনশৈলী বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশী রন্ধনশৈলী বিষয়শ্রেণী:বাঙালি রন্ধনশৈলী বিষয়শ্রেণী:বলকান রন্ধনশৈলী বিষয়শ্রেণী:ইরানী রন্ধনশৈলী বিষয়শ্রেণী:ইরাকী রন্ধনশৈলী বিষয়শ্রেণী:ইসরাইলী রন্ধনশৈলী বিষয়শ্রেণী:জর্ডানি রন্ধনশৈলী বিষয়শ্রেণী:কুর্দি রন্ধনশৈলী বিষয়শ্রেণী:লেভান্তনীয় রন্ধনশৈলী বিষয়শ্রেণী:পাকিস্তানি রন্ধনশৈলী বিষয়শ্রেণী:মধ্য প্রাচ্যীয় পোড়া মাংস বিষয়শ্রেণী:অটোমান রন্ধনশৈলী বিষয়শ্রেণী:দক্ষিণ এশীয় রন্ধনশৈলী বিষয়শ্রেণী:সিরীয় রন্ধনশৈলী বিষয়শ্রেণী:খাবারের ধরন
কাবাব
right|thumb|220px|পেন্টাগন ভবন পেন্টাগন মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের সদরদপ্তর। এটি যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া অঙ্গরাজ্যের আর্লিংটনে (৪৮ এন রোটারি রোড, আর্লিংটন, ভার্জেনিয়া ২২২১১ (মানচিত্র)) অবস্হিত। এর চিঠি লেখার ঠিকানা "ওয়াশিংটন, ডিসি ২০৩০১"। এর আকৃতি পঞ্চভুজাকৃতির বলে এরুপ নামকরণ করা হয়েছে। এটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় অফিস ভবন। ইতিহাস পেন্টাগনের অফিস আয়তনের দিক থেকে পৃথিবীর সর্ববৃহৎ। পেন্টাগনের নির্মাণ কাজ শুরু হয় , ১১ সেপ্টেম্বর ,১৯৪১, আর শেষ হয় ১৫ জানুয়ারি,১৯৪৩। এর মোট জমির পরিমাণ ৫৮৩ একর। পাঁচ তলা ভবনটির রয়েছে পাঁচটি সমান বাহু, যার প্রতিটির দৈর্ঘ্য ২৮১ মিটার এবং উচ্চতা ২৪ মিটার। কেউ যদি ভবনটির নিচ থেকে সবগুলো করিডোর ঘুরে ৫ তলায় পৌঁছতে চায় তবে তাকে কম করে হলেও ২৭ কিলোমিটার পথ হাঁটতে হবে। এখানে মোট সিড়িপথ ১৩১ টি, এস্কেলেটর ১৯টি, এলিভেটর ১৩টি, বিশ্রাম কক্ষ ২৮৪টি এবং জানালা রয়েছে ৭৭৫৪ টি। পাঁচ একরের (২০, ০০০ বর্গমিটার), পেন্টাগনে মধ্যবর্তী চত্বর পৃথিবীর বৃহত্তম " কোন অভিবাদন নয়, কোন আচ্ছাদন নয় " ক্ষেত্র (স্বাভাবিক নিয়মকানুন থেকে এ ক্ষেত্র দায়মুক্ত। দরজার বাইরে, ইউ. এস. সামরিক ব্যক্তিবর্গ উপরস্থ কর্মকতাকে অভিবাদন এবং অবশ্যই টুপি পরিধান করবেন)। মধ্যবর্তী খোলা চত্বর অনানুষ্ঠানিক ভাবে " গ্রাউন্ড জিরো " নামে পরিচিত। ঠান্ডা যুদ্ধের সময় এই ডাকনাম সৃষ্টি হয়েছিল যখন এটি একটি নিউক্লিয়ার মিসাইলের সর্বাপেক্ষা সম্ভাব্য নিশানা হিসেবে চিন্তা করা হয়েছিল। এই চত্বরের মধ্যে " গ্রাউন্ড জিরো ক্যাফে " নামে একটি স্নাক্স বার আছে। স্থাপনা হিসেবে পেন্টাগনের যতটা গুরুত্বপূর্ণ রয়েছে তার চেয়ে বেশি গুরুত্ব এখানে উপস্থিত কর্তাব্যক্তিদের জন্য। যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চপদস্থ প্রায় সব নেতৃত্বস্থানীয় কর্তাব্যক্তির অফিস এটি। পেন্টাগনের গুরুত্বপূর্ণ অফিসকক্ষে অনুমতি ছাড়া নির্দিষ্ট কর্মকর্তা ছাড়া আর কেউ যেতে পারেন না। পেন্টাগনে সাধারণ মানুষের প্রবেশ নিষেধ বললেই চলে। এর ভিতরে ছবি তোলা ও ভিডিও করা সম্পূর্ণ নিষেধ। কেউ যদি ছবি বা ভিডিও করতে চায় তবে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পূর্বানুমতির প্রয়োজন হয়। পেন্টাগনের ভিতরের ছবি তাই অনেকেই দেখতে পারেন না। শুধু সেমিনার হল এবং বিভিন্ন প্রেসের কর্মকাণ্ডের জন্য নির্দিষ্ট স্থান থেকেই এর কাজ চালানো হয়। গোপনীয়তা কাকে বলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান নিরাপত্তা কার্যালয়টি রয়েছে পেন্টাগনে। যুক্তরাষ্ট্রের সব প্রতিরক্ষাবিষয়ক কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে ধরা হয় পেন্টাগনকে। এখান থেকেই প্রতিরক্ষা বিষয়ক বাহিনীগুলোর সমন্বয় এবং বিভিন্ন গোপন সংস্থার কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয়। এগুলো গোপনীয় বিষয় ও সিদ্ধান্ত। পেন্টাগন নিয়ে যা বলা হয়, তার বেশির ভাগই শুধু মানুষের ধারণা। পেন্টাগনের এমন অনেক বিষয় রয়েছে যেগুলো সম্বন্ধে বাইরের পৃথিবীকে মোটেও জানানো হয় না। ন্যাশনাল সিকিউরিটি এবং ইউএস আর্মড ফোর্স সরাসরি এ পেন্টাগন থেকেই নিয়ন্ত্রিত হয়। পেন্টাগনের ভিতরেই প্রধান প্রতিরক্ষা কার্যালয় থাকায় এখানকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা সাধারণের অকল্পনীয়। পেন্টাগনে অসংখ্য অফিস রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে। রয়েছে সৈনিক, নাবিক, বিমানবাহিনী, নৌবাহিনীতে কর্মরত বিভিন্ন কর্মকর্তা। সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর পাশাপাশি মেরিন রিজার্ভ হিসেবেও রয়েছে অনেকে। এদের সবার অফিস এই পেন্টাগনে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকা আরও কিছু গোপন সংস্থা অফিসও রয়েছে পেন্টাগনে। এদের মধ্যে ডিফেন্স ইন্টিলিজেন্স এজেন্সি, ন্যাশনাল সিকিউরিটি এজেন্সি, ডিফেন্স অ্যাডভান্স রিসার্চ প্রজেক্ট এজেন্সি, ডিফেন্স লজিস্ট্রিক এজেন্সি, মিসাইল ডিফেন্স এজেন্সি, পেন্টাগন ফোর্স প্রোটেকশন এজেন্সি ছাড়াও আরও অনেক সংস্থা রয়েছে। তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ বিষয়শ্রেণী:মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
পেন্টাগন
ঘটনাবলী ১৬০৭ - ভার্জিনিয়ার জেমস টাউনে আমেরিকান ভূখণ্ডে ইংরেজদের প্রথম স্থায়ী বসতি স্থাপন। ১৬৩৮ - সম্রাট শাহজাহানের তত্ত্বাবধায়নে দিল্লির লাল কেল্লার নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ১৮০৪ - আমেরিকা আক্রমণ থেকে দিরানা শহর পুনরুদ্ধার করার জন্য ত্রিপোলি থেকে ইউসুফ কেরামানলি সৈন্য পাঠান। ১৮৩০ - স্বাধীন প্রজাতন্ত্র হিসাবে ইকুয়েডরের প্রতিষ্ঠা লাভ। ১৮৬১ - পাকিস্তানে (ব্রিটিশ-ভারতের অংশ ছিল) প্রথম রেলপথের উদ্বোধন। ১৯৬৭ - ভারতের প্রথম মুসলিম রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন ড. জাকির হুসাইন। ১৯৬৮ - প্যারিসে ভিয়েতনাম শান্তি আলোচনা শুরু। ১৮০৯ - অস্ট্রিয়ার সেনাদলকে পরাভূত করে নেপোলিয়ানের ভিয়েনা দখল। ১৮৪৬ - যুক্তরাষ্ট্র মেক্সিকোর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। ১৯৬২ - ডা. সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণাণ ভারতের দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেন। ১৯৬৭ - ভারতের তৃতীয় রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেন ড. জাকির হোসেন। ১৯৬৯ - মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে বর্ণবাদ দাঙ্গায় শতাধিক নিহত। ১৯৯১ - নেপালে প্রথম সংসদীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৯৫ - প্রথম নারী হিসেবে ব্রিটিশ বংশদ্ভূত এলিসন অক্সিজেন ও শেরপা ছাড়াই এভারেস্ট জয় করেন। ২০০০ - ভারতের লারা দত্তের বিশ্বসুন্দরী শিরোপা লাভ জন্ম ১২২১ - আলেক্সান্দ্‌র নেভ্‌স্কি, কিয়েভের যুবরাজ। (মৃ. ১২৬৩) ১২৬৫ - ইতালির কবি দান্তে আলিঘিয়েরি। ১৪৮৩ - জার্মান ধর্মীয় নেতা বা সংস্কারক মার্টিন লুথার। ১৭০৭ - ক্যারোলাস লিনিয়াস, একজন চিকিৎসক ও প্রাণীবিঙ্গানী ১৮৫৭ - রোনাল্ড রস, একজন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী স্কটিশ চিকিৎসক ছিলেন। ১৯০৫ - ফকরুদ্দিন আলি আহমেদ, ভারতের পঞ্চম রাষ্ট্রপতি ।(মৃ.১১/০২/১৯৭৭) ১৯০৭ - ড্যাফনি দ্যু মারিয়েই, ইংরেজ লেখিকা এবং নাট্যকার। (মৃ. ১৯৮৯) ১৯১৮ - বালাসরস্বতী, ভারতীয় বিখ্যাত নৃত্যশিল্পী। (মৃ. ১৯৮৪) ১৯৩৮ - জিউলিয়ানো আমাতো, ইতালীয় রাজনীতিবিদ। ১৯৩৯ - হার্ভি কাইটেল, আমেরিকান অভিনেতা। ১৯৫১ - ছড়াকার আবু সালেহ। ১৯৬৬ - নিয়াজ মোরশেদ, দাবায় উপমহাদেশের গ্র্যান্ডমাস্টার একজন বাংলাদেশী দাবাড়ু। ১৯৬৭ - ম্যালানি থর্নটন, মার্কিন পপ গায়িকা যিনি জার্মানিতে খ্যাতি অর্জন করেন এবং ইউরো ড্যান্স গ্রুপ লা বাউচির একজন সদস্য। (মৃ. ২০০১) ১৯৭৭ - সামান্থা মর্টন, ইংরেজ অভিনেত্রী, চিত্রনাট্যকার ও পরিচালক। ১৯৭৮ - নুয়ান জয়সা, কলম্বোয় জন্মগ্রহণকারী শ্রীলঙ্কার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। ১৯৮১ - সানি লিওন, ভারতীয় বংশোদ্ভূত কানাডীয় এবং মার্কিন অভিনেত্রী, ব্যবসায়ী, মডেল এবং প্রাক্তন পর্নোতারকা। ১৯৮৬ - লিনা ডানাম, মার্কিন অভিনেত্রী, লেখিকা, প্রযোজক ও পরিচালক। ১৯৮৬ - রবার্ট প্যাটিনসন, ইংরেজ অভিনেতা। ১৯৮৭ - আন্তোনিও আদান, স্প্যানিশ ফুটবলার। ১৯৯৩ - রোমেলু লুকাকু, বেলজিয়ামের ফুটবলার। মৃত্যু ১৮৩৬ - ভারততত্ত্ববিদ স্যার চার্লস উইলকিন্স। ১৮৮৭ - বাঙালি কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিক এবং প্রবন্ধকার রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায় (জ.১৩/০৫/১৮২৭) ১৯৩৮ - শার্ল এদুয়ার গিয়্যোম, ফরাসি-সুইজারল্যান্ডীয় পদার্থবিজ্ঞানী। (জ. ১৮৬১) ১৯৪৭ - সুকান্ত ভট্টাচার্য, বাংলা সাহিত্যেরপ্রগতিশীল চেতনার কিশোর কবি। (জ.১৫/০৮/১৯২৬) ১৯৬১ - গ্যারি কুপার, মার্কিন চলচ্চিত্র অভিনেতা। (জ. ১৯০১) ১৯৬৩ - সুকুমার সেন,ভারতের প্রথম নির্বাচন কমিশনার ও বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য।(জ.০২/০১/১৮৯৮) ১৯৭৪ - বাংলাদেশে বীমা শিল্পের অন্যতম পথিকৃৎ খুদা বকশ। ১৯৯৭ - সাংবাদিক, কথাসাহিত্যিক বিপ্লব দাশ। ১৯৯৯ - আব্দুল আজিজ ইবনে বায, সৌদি আরবের বিখ্যাত ইসলামী পন্ডিত এবং সালাফি মতাদর্শের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি। (জ. ১৯১০) ২০০১ - আর.কে.নারায়ণ প্রখ্যাত ভারতীয় লেখক ।(জ.১০/১০/১৯০৬) ২০০৫ - উৎপলা সেন, প্রখ্যাত বাঙালি গায়িকা ।(জ.১২/০৩/১৯২৪) ২০১১ - বাদল সরকার,আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বাঙালি নাট্যব্যক্তিত্ব।(জ.১৫/০৭/১৯২৫) ২০১৯ - ডরিস ডে, মার্কিন চলচ্চিত্র অভিনেত্রী ও সঙ্গীতশিল্পী। (জ. ১৯২২) ছুটি ও অন্যান্য বহিঃসংযোগ বিষয়শ্রেণী:গ্রেগরীয় পঞ্জিকার দিন বিষয়শ্রেণী:মে
১৩ মে
পান্ডা (Ailuropoda melanoleuca, অর্থ "সাদাকালো বিড়ালপদী"), বা বৃহৎ পান্ডা ভালুকের মতো দেখতে সাদাকালো রঙের বড়সড় এক প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী। এরা দক্ষিণ-পশ্চিম ও পশ্চিম-মধ্য চীনের পাহাড়ি ঢালের ঘন বাঁশবনে বাস করে। শ্বাপদকূলের অন্তর্গত হলেও এর খাবারের ৯৯% জুড়ে রয়েছে বাঁশ পাতা। লাল পান্ডা নামে আরেক প্রজাতির পান্ডা রয়েছে কিন্তু নাম ছাড়া এদের মধ্যে মিল বেশ কম। পান্ডার বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠ বাঁশের কঞ্চি ধরার জন্য জায়ান্ট পান্ডার পাঁচটি সাধারণ আঙুল ছাড়াও হাতের তালু ও কব্জির সংযোগস্থলে একটি বুড়ো-আঙুলের (বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠের) মত অংশ দেখা যায়। এটি আঙুল নয়, বর্ধিত রেডিয়াল সিসাময়েড অস্থি মাত্র। বৃহৎ পান্ডার নিকট আত্মীয় লাল পান্ডা ও ভালুকেরও এ অঙ্গটি খানিকটা বড়, তবে এতটা না। এরা যে শ্বাপদ এবং বাঁশ পাতা খাওয়ার জন্য পুরোপুরি বিবর্তিত নয় তার অন্যতম প্রমাণ এদের খাদ্যনালী। তৃণভোজী প্রাণীদের খাদ্যনালী লম্বা হয় এবং পাকস্থলীর আগে অথবা বৃহদান্ত্রের সিকাম বা কোলনে আঁশ(fibre) গেঁজিয়ে পাচন সম্পূর্ণ করার ব্যবস্থা থাকে। পান্ডার এর কোনটাই নেই। আছে শুধু অন্যান্য শ্বাপদদের মত কেবল ছোট (নাতিদীর্ঘ) ক্ষুদ্রান্ত্র। তাই এদের খুব বেশি পরিমাণ (বাঁশ পাতা) খেতে হয়। এ কারণে এরা গাছ ছেড়ে মাটিতে কাটানোর সময় খুব কম পায়। একটা পূর্ণবয়স্ক পান্ডা প্রায় ৩৮ কেজি বাঁশপাতা খেয়ে থাকে প্রতিদিন। 6 তবে গ্লোবাল ওয়ার্মিং তাদের জীবনপথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:স্তন্যপায়ী প্রাণী বিষয়শ্রেণী:শ্বাপদ বিষয়শ্রেণী:এশিয়ার প্রাণী বিষয়শ্রেণী:পান্ডা
পান্ডা
শিং মাছ হচ্ছে Siluriformes বর্গের একটি পরিবারের নাম। এরা এশিয়ায় বাস করে। এদের মুখে গোঁফ আছে। দৈহিক গঠন শিং মাছের দেহ লম্বা ও চাপা। এদের পেট গোলাকার। এদের মাথা ক্ষুদ্রাকৃতির, দৃঢ়ভাবে চাপা এবং পাতলা ত্বক দ্বারা আবৃত। চোখ ক্ষুদ্রাকৃতির এবং মাথার সম্মুখভাগের পার্শ্বদেশে অবস্থিত। এদের এক জোড়া লম্বা নলাকার বায়ুথলি মেরুদণ্ডের উভয় পার্শ্বে ফুলকাধার থেকে পশ্চাৎমুখে প্রসারিত হয়ে ফুসফুসের ন্যায় কাজ করে। চোখ মুক্ত অক্ষিকোটরীয় কিনারাযুক্ত। এদের স্পর্শী আছে ৪ জোড়া। একটি খাটো কাঁটাবিহীন পৃষ্ঠপাখনা থাকে। পায়ুপাখনা দীর্ঘ। পাখনায় কোনো চর্বি থাকে না এবং পাখনাগুলো নিচু ধারের ন্যায় বিদ্যমান। এদের বক্ষপাখনা বিষগ্রন্থিযুক্ত যা মানুষের জন্য ক্ষতিকর। এদের পৃষ্ঠপাখনা গোলাকার। ফুলকাপর্দা গভীর খাঁজযুক্ত ও যোজক থেকে আলাদা। এদের পটকা থাকে না। প্রজাতিসমূহ Heteropneustes গণে পাঁচটি পরিচিত প্রজাতি আছে। সেগুলো হচ্ছে: ঝিল শিংঘি, Heteropneustes fossilis (Bloch, 1794) (stinging catfish) Heteropneustes kemratensis (Fowler, 1937) Heteropneustes nani Hossain, Sarker, Sharifuzzaman & Chowdhury, 2013 Heteropneustes longipectoralis Rema Devi & Raghunathan, 1999 Heteropneustes microps (Günther, 1864) তথ্য সূত্র বিষয়শ্রেণী:মাছ বিষয়শ্রেণী:দক্ষিণ এশিয়ার মাছ বিষয়শ্রেণী:স্বাদু পানির মাছ
শিং মাছ
চিরায়ত বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গিতে যা কিছু কোনও স্থান বা আয়তন দখল করে এবং জড়তা (বা ভর) ও মহাকর্ষ ধর্ম প্রদর্শন করে, তাকে পদার্থ বলে। রসায়নবিদ্যায় পদার্থের আলোচনা রসায়নবিদ্যায় পদার্থকে মৌলিক পদার্থ (যাকে রাসায়নিকভাবে সরলতর উপাদানে বিশ্লেষণ করা সম্ভব নয়) ও যৌগিক পদার্থ (যাকে রাসায়নিকভাবে সরলতর উপাদানে তথা মৌলিক পদার্থে বিশ্লেষণ করা সম্ভব) - এই দুই শ্রেণীতে ভাগ করা হয়েছে। মৌলিক পদার্থগুলি একে অপরের সাথে রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে যৌগিক পদার্থ গঠন করে। এ পর্যন্ত একশতের বেশি (১১৮ টি) মৌলিক পদার্থ শনাক্ত করা হয়েছে। মৌলিক পদার্থগুলিকে ধাতু, অধাতু, ধাতুকল্প, ইত্যাদি শ্রেণীতে ভাগ করা হয়। মৌলিক ও যৌগিক পদার্থ উভয়েই নির্ভরযোগ্যভাবে সুনির্দিষ্ট ভৌত ও রাসায়নিক ধর্মাবলি প্রদর্শন করে। প্রকৃতিতে বিশুদ্ধ মৌলিক বা যৌগিক পদার্থ সাধারণত পাওয়া যায় না। এগুলি সাধারণত সমসত্ত্ব বা অসমসত্ত্ব মিশ্র পদার্থ হিসেবে বিরাজ করে; মিশ্র পদার্থগুলির কোন নির্দিষ্ট নির্ভরযোগ্য রাসায়নিক ধর্ম নেই। এছাড়া পৃথিবীতে কার্বন নামের মৌলক পদার্থটি হাইড্রোজেন, অক্সিজেন, নাইট্রোজেন, গন্ধক ও ফসফরাসের সাথে মিলে বহুসংখ্যক জৈব যৌগিক পদার্থ গঠন করেছে যেগুলি জীবনের ভিত্তি বা জীবদের দ্বারা উৎপাদিত হয়। (শৃঙখল গঠন দেখুন) কণা পদার্থবিজ্ঞানে পদার্থের আলোচনা আধুনিক কণাভিত্তিক পদার্থবিজ্ঞানের মান তত্ত্বে পদার্থকে বিপুল সংখ্যক অণু ও পরমাণুর সমষ্টি হিসেবে কল্পনা করা হয়। পরমাণু হল মৌলিক পদার্থের রাসায়নিক ধর্মাবলি প্রদর্শনকারী ক্ষুদ্রতম একক। পরমাণুর অভ্যন্তরে ধনাত্মক আধানের প্রোটন ও আধানহীন নিউট্রন কণা নিয়ে গঠিত একটি পরমাণুকেন্দ্র বা নিউক্লিয়াস থাকে এবং একে ঘিরে "আবর্তনশীল" ঋণাত্মক আধানের ইলেকট্রন কণাসমূহের একটি "মেঘ" থাকে যা পরমাণুটির "দখলকৃত স্থান" বা আয়তন নির্ধারণ করে। পরমাণুর অভ্যন্তরের প্রোটন কণার সংখ্যা কোনও মৌলিক পদার্থের রাসায়নিক ধর্ম নির্ধারণ করে। পরমাণুগুলি একে অপরের সাথে তড়িৎযোজী, সমযোজী, সন্নিবেশ, ধাতব, ইত্যাদি রাসায়নিক বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে স্থিতিশীল মৌলিক বা যৌগিক অণু গঠন করে। অণুগুলি আবার বিভিন্ন ধরনের আন্তঃআণবিক আকর্ষণ বলের মাধ্যমে একে অপরের সাথে যুক্ত হয়ে ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য বা পরীক্ষাগারে পর্যবেক্ষণযোগ্য স্থূল পদার্থ তৈরি করে, যেগুলি বিভিন্ন অবস্থা বা দশায় বিরাজ করতে পারে (কঠিন, তরল, বায়বীয়, ইত্যাদি)। পদার্থ ও শক্তির মধ্যকার সম্পর্ক চিরায়ত পদার্থবিজ্ঞান অনুযায়ী শক্তি (পদার্থের কাজ সম্পাদন বা তাপ উৎপাদন করার ক্ষমতা) ও পদার্থ দুইটি পৃথক সত্তা যারা একত্রে সমস্ত বাস্তব ভৌত ঘটনার ভিত্তি গঠন করেছে। কিন্তু আধুনিক পদার্থবিজ্ঞানীদের মতে (বিশেষ আপেক্ষিকতা) পদার্থ ও শক্তি একটি অন্যটিতে রূপান্তরযোগ্য, সুতরাং এগুলি একই সত্তার দুই ভিন্ন রূপ। তবে গতি, তরল ও বায়বীয় পদার্থের আচরণ, তাপ, ইত্যাদিসহ আরও বহু ঘটনার সরল ব্যাখ্যা দেয়ার স্বার্থে বিজ্ঞানীরা পদার্থ ও শক্তিকে দুইটি আলাদা সত্তা হিসেবেই বিবেচনা করে থাকেন। সাধারণ পদার্থ, তমোপদার্থ, তমোশক্তি ও প্রতি-পদার্থ উপরে সংজ্ঞায়িত পদার্থ পর্যবেক্ষণযোগ্য সমস্ত ভৌত বস্তু তথা জ্ঞাত মহাবিশ্বকে গঠনকারী প্রধান উপাদানগুলির একটি। এগুলিকে ব্যারিয়নজাত পদার্থ বলে। ব্যারিয়ন বলতে প্রোটন, নিউট্রন, পরমাণু তথা তিনটি কোয়ার্ক নিয়ে গঠিত যেকোনও কণাকে বোঝায়। ব্যারিয়নজাত পদার্থকে "সাধারণ পদার্থ" নামেও ডাকা হয়। কণা পদার্থবিজ্ঞানের আদর্শ মডেলে বা প্রতিমায় এগুলি বিস্তারিতভাবে বর্ণিত হয়েছে। তবে মহাবিশ্বের এক সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশই (প্রায় ৯৫%) তমোপদার্থ ও তমোশক্তি নামের অজ্ঞাত উপাদান দিয়ে গঠিত, যাদের প্রকৃতি সম্বন্ধে খুব বেশি এখনও জানা সম্ভব হয়নি। তমোপদার্থ হল অজানা গঠনের এক ধরনের পদার্থ যা কোন তড়িচ্চুম্বকীয় তরঙ্গ বিকিরণ বা প্রতিফলন করে না, এবং সে কারণে একে সরাসরি পর্যবেক্ষণ করা যায় না, কিন্তু দৃশ্যমান পর্যবেক্ষণযোগ্য পদার্থের উপর এর মহাকর্ষীয় প্রভাবের মাধ্যমে এর উপস্থিতি অনুমান করা সম্ভব। বিজ্ঞানীরা সাধারণভাবে একমত যে তমোপদার্থ ব্যারিয়ন (তথা এ পর্যন্ত জানা কোনও অতিপারমাণবিক কণা) দিয়ে গঠিত নয়। কোনও কোনও বিজ্ঞানীর মতে এগুলি কিছু অতি-প্রতিসাম্য কণা, যারা পরমাণুর আদর্শ মডেলে প্রস্তাবিত কণাগুলির মত নয়। বরং এগুলি মহাবিশ্বের প্রাথমিক দশাতে অত্যন্ত উচ্চ শক্তি নিয়ে গঠিত হয়েছিল এবং এখনও ভেসে বেড়াচ্ছে। আবার যে বিকর্ষণকারী প্রভাবের কারণে মহাবিশ্বের সম্প্রসারণের হার ত্বরান্বিত হচ্ছে, তার উৎসকে তমোশক্তি নাম দেওয়া হয়েছে। তমোশক্তির মূল প্রকৃতি এখনও অজানা, তবে শক্তি ঘনত্ব এবং শূন্যস্থানের প্রতি চাপ, ইত্যাদি পদার্থ-জাতীয় ধর্ম দিয়ে এর প্রভাবগুলির একটি মডেল বা প্রতিমা নির্মাণ করা সম্ভব। জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক গবেষণায় দেখা গেছে মানবনির্মিত সেরা দূরবীক্ষণ যন্ত্র দিয়ে দৃশ্যমান বিশ্বের মাত্র ৪.৬% ব্যারিয়নজাত পদার্থ দিয়ে তৈরি। অন্যদিকে প্রায় ২৬.৮% তমোপদার্থ এবং প্রায় ৬৮.৩% তমোশক্তি। অর্থাৎ পদার্থের গঠন-সংক্রান্ত কণা পদার্থবিজ্ঞানের আদর্শ মডেল দিয়ে বিদ্যমান মহাবিশ্বের মাত্র ২০ ভাগের এক ভাগ পদার্থ ব্যাখ্যা করা সম্ভব হয়েছে। বাকী প্রায় ৯৫% পদার্থ সম্বন্ধে তেমন কিছুই জানা যায়নি। বিজ্ঞানীরা আরও মনে করেন যে তাত্ত্বিকভাবে মহাবিশ্বে সমপরিমাণ পদার্থ ও প্রতি-পদার্থ বিদ্যমান। প্রতি-পদার্থের কণাগুলি পদার্থের কণার সংস্পর্শে আসলে এগুলি একে অপরকে নিশ্চিহ্ন করে দেয়। কিন্তু পর্যবেক্ষণযোগ্য মহাবিশ্বে প্রতি-পদার্থ অত্যন্ত বিরল। প্রতি-পদার্থের এই অনুপস্থিতি বা বিরলতা বর্তমান পদার্থবিজ্ঞানের এক বিরাট অমীমাংসিত সমস্যা। সাধারণ পদার্থের দশা বা অবস্থা স্থুল দৃশ্যমান, স্পর্শনযোগ্য বা ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য পদার্থ ভিন্ন ভিন্ন সমগ্রীভূত অবস্থায় থাকতে পারে যাদেরকে পদার্থের দশা বলা হয়, যা পদার্থের পারিপার্শ্বিক চাপ, তাপমাত্রা ও আয়তনের উপর নির্ভরশীল। পদার্থের দশা হল এর এমন একটি সমগ্রীভূত রূপ যাতে এর রাসায়নিক গঠন ও ভৌত ধর্মাবলি (ঘনত্ব, আপেক্ষিক তাপ, প্রতিসরাঙ্ক, ইত্যাদি) মোটামুটি একই রকম হয়। সবচেয়ে পরিচিত তিনটি দশা হল কঠিন, তরল ও বায়বীয় দশা। এগুলিকে চিরায়তভাবে পদার্থের অবস্থাও বলা হয়। যেমন হাইড্রোজেন অক্সাইড নামক যৌগিক পদার্থটি শূন্যের নিচের তাপমাত্রায় কঠিন অবস্থায় (বরফ), সাধারণ তাপমাত্রায় তরল অবস্থায় (পানি) এবং ১০০ ডিগ্রী সেলসিয়াসের উঁচু তাপমাত্রায় বায়বীয় অবস্থায় (জলীয় বাষ্প) বিরাজ করে। এই অবস্থাগুলি মূলত কয়েকটি ধর্ম দ্বারা সংজ্ঞায়িত করা হয়। কঠিন পদার্থের নির্দিষ্ট আয়তন ও আকৃতি থাকে। তরল পদার্থের নির্দিষ্ট আয়তন থাকলেও এটির নির্দিষ্ট আকৃতি নেই; যে পাত্রে রাখা হয়, এটি সেই পাত্রের আকৃতি ধারণ করে। আর বায়বীয় পদার্থের কোন নির্দিষ্ট আয়তন বা আকৃতি কোনটিই নেই; এটি বদ্ধ পাত্রের সমস্ত আয়তন দখল করতে চেষ্টা করে। পদার্থের এই অবস্থাগুলিকে আরও কিছু উপ-অবস্থায় শ্রেণীকরণ করা যায়। যেমন কঠিন পদার্থকে স্ফটিকনির্মিত বা স্ফটিকহীন এই দুই শ্রেণীতে ভাগ করা যায়। অথবা এগুলিকে পরমাণুগুলির মধ্যকার বন্ধনের উপর ভিত্তি করে ধাতব, আধানযুক্ত, সমযোজী বা আণবিক ইত্যাদি কঠিন পদার্থে ভাগ করা যায়। পদার্থের কিছু দশা পরিষ্কার করে সংজ্ঞায়িত করা সম্ভব নয়, যেমন প্লাজমা দশা। বায়বীয় পদার্থ খুবই উচ্চ তাপমাত্রায় আয়নিত হলে এই দশায় বিরাজ করে। ফেনা দশায় পদার্থ একই সাথে তরল ও কঠিন পদার্থের কিছু ধর্ম প্রদর্শন করে। গুচ্ছ দশায় স্বল্পসংখ্যক পরমাণু বা অণু একত্রিত হয়ে একই সাথে পারমাণবিক-পর্যায়ের ও স্থুল পদার্থের ধর্ম প্রদর্শন করে। এছাড়া তরল স্ফটিক, অতিপ্রবাহী, অতিকঠিন, বসু-আইনস্টাইন ঘনীভবন উৎপাদ, পরাচুম্বক, অয়শ্চুম্বক, ইত্যাদি আরও অনেক ব্যতিক্রমী বা "উদ্ভট" দশা আছে। পারিপার্শ্বিক অবস্থার পরিবর্তন ঘটলে পদার্থ এক দশা থেকে আরেক দশায় রূপান্তরিত হয়, যাকে দশান্তর বলে। দশান্তরগুলি তাপগতিবিজ্ঞান নামক উপক্ষেত্রে আলোচনা করা হয়। এছাড়া ন্যানোবস্তুসমূহে আয়তনের তুলনায় পৃষ্ঠতলের ক্ষেত্রফল অত্যন্ত বেশি হয় বলে পদার্থের এমন সব ধর্ম পরিলক্ষিত হয়, যেগুলি স্থুল পদার্থের কোনও দশা দিয়েই সন্তোষজনকভাবে বর্ণনা করা সম্ভব নয়। পদার্থের ধর্ম সব ধরনের পদার্থ জড়তা নামের একটি মৌলিক ধর্মের অধিকারী। নিউটনের গতিসংক্রান্ত বিধি অনুযায়ী জড়তা হল পদার্থের সেই ধর্ম যার কারণে বাইরে থেকে এর স্থিতিশীল বা গতিশীল অবস্থা পরিবর্তন করার চেষ্টা করলে পদার্থটি তৎক্ষণাৎ অবস্থা পরিবর্তন করে না। পদার্থের এই জড়তা ধর্মটিকে যে রাশির সাহায্যে পরিমাপ করা হয়, সেটিকে তার ভর বলে। জড়তার কারণে একটি সাইকেলকে ঠেলা দেওয়া সহজ, কিন্তু একটি গাড়িকে ঠেলা দেওয়া অনেক কঠিন। পদার্থের আরেকটি সার্বজনীন ধর্ম হল মহাকর্ষীয় ভর। এটি মহাবিশ্বের প্রতিটি ভৌত সত্তা বা বস্তু একে অপরকে আকর্ষণ করার ঘটনাটিকে পরিমাপে সাহায্য করে। প্রথমে আইজাক নিউটন ও পরে আলবার্ট আইনস্টাইন এ ব্যাপারে তত্ত্ব দেন। পদার্থের অণুসমূহের ধর্ম, তাদের বিস্তার ও বিন্যাস পদার্থের আরও অনেক ধর্ম নির্ধারণ করে, যেমন- কাঠিন্য, সান্দ্রতা, প্রবহমানতা, বর্ণ, স্বাদ, গন্ধ, তাপ ও বিদ্য্যুৎ পরিবাহিতা বা রোধকতা, ইত্যাদি। পদার্থকে তাই বিভিন্ন ধর্মের মাধ্যমে শনাক্ত ও চরিত্রায়িত করা যায়। পদার্থের যেসব ধর্ম সেটির কোনও রাসায়নিক পরিবর্তন সাধন না করেই পর্যবেক্ষণ ও নির্ণয় করা যায়, সেগুলিকে পদার্থের ভৌত ধর্ম বলে। অন্যদিকে পদার্থের যেসব ধর্ম সেটির রাসায়নিক চরিত্রের পরিবর্তন সাধন করার মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ ও নির্ণয় করতে হয়, সেগুলিকে পদার্থের রাসায়নিক ধর্ম বলে, যেমন বিক্রিয়াশীলতা, দাহ্যতা, দহন তাপ, জারণ ক্ষমতা, ইত্যাদি। ভৌত ধর্মগুলিকে আবার দুই প্রকারে ভাগ করা যায়। যেসব ভৌত ধর্ম পদার্থের পরিমাণের উপর নির্ভরশীল, সেগুলিকে বিকীর্ণ বা পরিমাণগত ধর্ম বলে, যেমন ভর, আয়তন, ওজন, ইত্যাদি। অন্যদিকে যেসব ভৌত ধর্ম পদার্থের পরিমাণের উপর নির্ভরশীল নয়, সেগুলিকে পদার্থের সংকীর্ণ ধর্ম বলে, যেমন ঘনত্ব, বর্ণ, গন্ধ, নমনীয়তা বা ঘাতসহিষ্ণুতা, তাপ পরিবাহিতা, তড়িৎ পরিবাহিতা, দ্যুতি, প্রসার্যতা, স্ফুটন বিন্দু, গলন বিন্দু, ইত্যাদি। পদার্থের গঠন কণাভিত্তিক মান তত্ত্ব অনুযায়ী পদার্থের গঠন ১৯৭০-এর দশকের মাঝামাঝি পদার্থের পারমাণবিক গঠনের মান বা আদর্শ তত্ত্বটি সুপ্রতিষ্ঠিত হয়। এই তত্ত্ব অনুসারে গাঠনিকভাবে সমস্ত পদার্থ কোয়ার্ক ও লেপটন নামের দুই শ্রেণীর অবিভাজ্য মৌলিক অতিপারমাণবিক কণা নিয়ে গঠিত। কোয়ার্ক ও লেপটন কণাগুলিকে “পদার্থ কণা” এবং ফার্মিয়ন নামেও ডাকা হয়। এ পর্যন্ত ৬ ধরনের কোয়ার্ক ও ৬ ধরনের লেপটন কণা আবিষ্কৃত হয়েছে। কোয়ার্ক ও লেপটনগুলি মধ্যস্থতাকারী কিছু কণার সাহায্যে সংযুক্ত হয়ে প্রোটন ও নিউট্রন নামের যৌগিক কণা গঠন করে, যাদেরকে নিউক্লিয়ন বলা হয়। মধ্যস্থতাকারী কণিকগুলি চারটি মৌলিক নিউক্লীয় আন্তঃক্রিয়া বলের বাহক হিসেবে কাজ করে। সবল নিউক্লীয় বলের বাহক হিসেবে গ্লুঅন (ভরহীন), দুর্বল নিউক্লীয় বলের বাহক হিসেবে তিন ধরনের বোসন (ভরযুক্ত), নিউক্লীয় তড়িচ্চুম্বকীয় বলের বাহক হিসেবে ফোটন (ভরহীন) নামক কণা শনাক্ত করা হয়েছে। নিউক্লীয় মহাকর্ষ বলের জন্য কোয়ান্টাম পদার্থবিজ্ঞানে গ্রাভিটন নামক একটি ভরহীন কণা প্রস্তাব করা হলেও এর অস্তিত্ব এখনও প্রমাণিত হয়নি। প্রোটন ও নিউট্রনগুলি একত্রিত হয়ে ধনাত্মক আধানবিশিষ্ট পরমাণুকেন্দ্র তৈরি করে। এই অতিক্ষুদ্র কিন্তু পরমাণুর প্রায় সমস্ত ভরবিশিষ্ট পরমাণুকেন্দ্রটি এবং একে ঘিরে ঘূর্ণায়মান ঋণাত্মক আধানবিশিষ্টব কিন্তু অত্যন্ত অল্প ভরবিশিষ্ট ইলেকট্রন কণার মেঘ একত্রে মিলে নির্দিষ্ট আয়তনবিশিষ্ট পরমাণু গঠন করে। ইলেকট্রনগুলি লেপটন শ্রেণীর মৌলিক অতিপারমাণবিক কণা। পরমাণুর বেশিরভাগ আয়তনই শূন্যস্থান; পরমাণুকেন্দ্রের আয়তন মোট পরমাণুর আয়তনের প্রায় ১ লক্ষ ভাগের এক ভাগ। পরমাণুসমূহের ব্যাস সাধারণত অ্যাংস্ট্রম এককে মাপা হয় (১ মিটারের ১ হাজার কোটি ভাগের এক ভাগ)। পরমাণুকেন্দ্রে প্রোটন ও নিউট্রনের সংখ্যা অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের পরমাণু হয়, যেগুলি একেকটি মৌলিক পদার্থ গঠন করে। একই মৌলিক পদার্থের সব পরমাণু একই রাসায়নিক ধর্ম প্রদর্শন করে। মৌলিক পদার্থগুলির পর্যায় সারণিতে এগুলিকে প্রোটন সংখ্যা এবং অন্যান্য ভৌত ও রাসায়নিক ধর্ম অনুযায়ী শ্রেণীবিন্যস্ত করা হয়েছে। একটি প্রোটন ও একটি ইলেকট্রন নিয়ে গঠিত হাইড্রোজেন পরমাণু সবচেয়ে সরল, ক্ষুদ্র ও কম ভরবিশিষ্ট পরমাণু। সবচেয়ে ভারী পরমাণুতে (মানবনির্মিত ও কৃত্রিম) একশতর বেশি প্রোটন থাকতে পারে। একাধিক পরমাণু সাধারণত সমযোজী বন্ধনের মাধ্যমে অথবা তড়িৎযোজী বন্ধনে বিপরীত বৈদ্যুতিক আয়নরূপে আবদ্ধ হয়ে পদার্থের অণু গঠন করে। বিপুল সংখ্যক পরমাণু ও অণু একত্রিত হলে দৈনন্দিন জীবনে ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য বিভিন্ন স্থূল মৌলিক ও যৌগিক পদার্থ গঠিত হয়। ইলেকট্রন কণাগুলির কোন নির্দিষ্ট অবস্থান নেই। এগুলি পরমাণুতে পারমাণবিক কক্ষপথে বা যৌগিক পদার্থের অণুতে আণবিক কক্ষপথে খোলক বা মেঘের আকারে চলাচল করে। কঠিন পদার্থে ইলেকট্রন পদার্থের মোট আয়তন জুড়েই আপাত-কণিকা (Quasi-particle) হিসেবে চলমান থাকতে পারে। কোয়ান্টাম ক্ষেত্র তত্ত্ব অনুযায়ী পদার্থের গঠন তবে কোয়ান্টাম বলবিজ্ঞানের দৃষ্টিকোণ থেকে পদার্থের গঠন সংক্রান্ত উপরোক্ত বর্ণনাটি সম্পূর্ণ সঠিক নয়। এই তত্ত্ব অনুযায়ী পদার্থ কোন সুসংজ্ঞায়িত মৌলিক ধারণা হতে পারে না। কেননা পদার্থকে গঠনকারী পরমাণু তথা অতিপারমাণবিক কণিকাগুলির কোন নিজস্ব আকার বা আয়তন নেই। অতিপারমাণবিক কণাগুলি প্রকৃতপক্ষে সাধারণ ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য বস্তুর অতিক্ষুদ্র বিন্দুসদৃশ সংস্করণ নয়। এদের ধর্মগুলি কোয়ান্টাম বলবিজ্ঞান দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়, যা দৈনন্দিন বস্তুগুলির আচরণ থেকে আলাদা। এগুলি একই সাথে কণা ও তরঙ্গের মতো আচরণ করে এবং পাউলির বর্জন নীতি ও অন্যান্য মৌলিক আন্তঃক্রিয়ার ফলশ্রুতিতে একে অপরের থেকে নির্দিষ্ট দূরত্বে অবস্থান করে। এর ফলে মানুষের ইন্দ্রিয়ের কাছে পদার্থের “আয়তন” ধর্মটি প্রতিভাত হয় এবং আপাতদৃষ্টিতে মনে হয় পদার্থ স্থান দখল করে আছে। প্রকৃতপক্ষে একটি অতিপারমাণবিক কণা (যেমন প্রোটন) কোন স্পর্শনযোগ্য, ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য কণা নয়, বরং সমগ্র মহাবিশ্বব্যাপী সীমাহীন বিস্তৃত প্রোটন ক্ষেত্রের একটি স্থানীয় কোয়ান্টামীয় স্পন্দন মাত্র। একইভাবে আমাদের জানা সবধরনের অতিপারমাণবিক কণার জন্যই মহাবিশ্বের সমগ্র ব্যপ্তি জুড়ে অতিবৃহৎ অসীম ক্ষেত্র আছে, যেগুলির স্থানীয় কোয়ান্টামীয় স্পন্দনকে আমরা বিভিন্ন কণা হিসেবে চিহ্নিত করি। এই বহুসংখ্যক কোয়ান্টামীয় স্পন্দনশীল অতিপারমাণবিক ক্ষেত্রসমূহের আন্তঃক্রিয়ার সামগ্রিক ফলাফলই হল মহাবিশ্বের সমস্ত পদার্থ। বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে এটিই হল পদার্থ সম্পর্কে আজ অবধি মানুষের গভীরতম উপলব্ধি। তথ্য ও পদার্থের গঠন কোনও কোনও বিজ্ঞানীর মতে অতিপারমাণবিক কণিকাগুলির সমস্ত বৈশিষ্ট্য তথ্যের আকারে এবং এই তথ্যকে দ্বিমিক বা বাইনারি সংকেত (০ বা ১) আকারে প্রকাশ করা সম্ভব। সুতরাং সমগ্র মহাবিশ্বকে দ্বিমিক সংকেত প্রক্রিয়াজাতকারী এক দানবীয় অতিবিশাল গণকযন্ত্র তথা সুপারকম্পিউটার হিসেবে কল্পনা করা সম্ভব। বিখ্যাত জ্যোতির্বিজ্ঞানী জন আর্চিবল্ড হুইলার ("কৃষ্ণগহ্বর" পরিভাষার প্রবর্তক) তার কর্মজীবনের শেষ পর্যায়ে তথ্যের মাধ্যমে মহাবিশ্বের গঠন ব্যাখ্যার এক বড় সমর্থকে পরিণত হন। তার মতে মহাবিশ্বকে তিনভাবে উপলব্ধি করা সম্ভব। প্রথমত, মহাবিশ্বের সবকিছুই হল কণা। দ্বিতীয়ত মহাবিশ্বের সবকিছুই হল বিভিন্ন কোয়ান্টাম ক্ষেত্র ও তাদের আন্তঃক্রিয়া। তৃতীয়ত, মহাবিশ্বের সবকিছুই হল তথ্য। ১৯৮০-র দশকে হুইলার তথ্য তত্ত্ব ও কোয়ান্টাম বলবিজ্ঞানের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন করার চেষ্টা করেন এবং ১৯৮৯ সালে একটি গবেষণাপত্রে লেখেন যে "যা কিছু আছে – সব কণা, সব বলক্ষেত্র, এমনকি স্থান-কাল পরম্পরার উদ্দেশ্য, অর্থ ও সমগ্র অস্তিত্ব – কোন কোন ক্ষেত্রে পরোক্ষভাবে হলেও – কিছু হ্যাঁ/না-জাতীয় প্রশ্নের উত্তরের উপর, তথা দ্বিমিক নির্বাচন, তথা বিটের উপর নির্ভরশীল।" অন্য ভাষায় মহাবিশ্ব এর ভেতরে নিহিত দ্বিমিক তথ্যের থেকে উৎসারিত হয়। হুইলার এ ব্যাপারটিকে সংক্ষিপ্ত কিন্তু স্মরণীয় একটি ইংরেজি খণ্ডবাক্য দিয়ে প্রকাশ করেন— “ইট ফ্রম বিট” ("It from bit")। "ইট" হল সব পদার্থ আর "বিট" হল "দ্বিমিক বা বাইনারি সংকেত"। পদার্থ নিয়ে গবেষণার ইতিহাস প্রাচীন ভারতীয় দর্শনে পদার্থ প্রাচীন ভারতীয় ঋগ্বেদীয় দর্শন অনুযায়ী মহাবিশ্ব শুদ্ধ তত্ত্ব, শুদ্ধাশুদ্ধ তত্ত্ব এবং অশুদ্ধ তত্ত্ব—এই তিন ধরনের উপাদান নিয়ে গঠিত। সব মিলিয়ে এদের সংখ্যা ৩৬টি পর্যন্ত হতে পারে (শৈব দর্শন অনুযায়ী)। শুদ্ধ ও শুদ্ধাশুদ্ধ তত্ত্বগুলি পরম উপাদান ও আত্মার গঠনের সাথে সম্পর্কিত। অন্যদিকে অশুদ্ধ তত্ত্বগুলি বাস্তব বিশ্ব ও মানুষের দেহ গঠন করেছে। এদের মধ্যে আছে পঞ্চমহাভূত বা পাঁচ ধরনের স্থুল পদার্থ; এগুলি হল পৃথিবী, অপ্‌ বা জল, তেজ বা অগ্নি, বায়ু ও আকাশ (শূন্যস্থান)। এই পাঁচটি মহাপদার্থ বিভিন্ন অনুপাতে মিলে মহাবিশ্বের সবকিছু গঠন করছে। মানুষ পদার্থকে সম্পূর্ণরূপে কখনোই উপলব্ধি করতে পারে না। মানুষ পাঁচটি জ্ঞানেন্দ্রিয়ের (ঘ্রাণ, রসনা, চক্ষু, ত্বক ও শ্রোত্র) সাহায্যে স্থুল পদার্থের পাঁচটি তন্মাত্র বা সুক্ষ্ম বৈশিষ্ট্য (অর্থাৎ গন্ধ, রস, রূপ, স্পর্শ ও শব্দ) উপলব্ধি করতে পারে। কিন্তু এগুলি পদার্থ সম্বন্ধে সীমিত কিছু তথ্যের যোগান দেয়। চার্বাক দর্শনে ও বৌদ্ধ দর্শনে আকাশ বা শূন্যস্থানকে বাদ দিয়ে বাকী চারটি মহাভূতকে মৌলিক পদার্থ হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। প্রাচীন চীনা দর্শনে পদার্থ খ্রিস্টপূর্ব ৩০০ অব্দ নাগাদ চীনের প্রকৃতিবাদী দার্শনিক ৎসৌ ইয়ান বলেন যে পদার্থ পাঁচটি মৌলিক রূপান্তরযোগ্য দশা (উশি) নিয়ে গঠিত, যেগুলি হল ধাতু, কাঠ, জল, আগুন ও মৃত্তিকা বা পৃথিবী। এগুলি আবার দুইটি বিপরীতমুখী শক্তির দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় (ইন ও ইয়াং)। মৌলিক দশাগুলি আবার একই শক্তি ছি-র পাঁচটি ভিন্ন রূপ।ত প্রাচীন গ্রিক চিন্তাবিদদের ধারণায় পদার্থ আনুমানিক ৫৮৫ খিস্টপূর্বাব্দে গ্রিক দার্শনিক মিলেতুসের থালেস তরল পানি, কঠিন বরফ ও বায়বীয় জলীয় বাষ্প পর্যবেক্ষণ করে এই বিশ্বাসে উপনীত হন যে সমস্ত পদার্থ পানি দিয়ে গঠিত। এর দুই প্রজন্ম পরে আনাক্সিমেনেস যুক্তি দেন যে বায়ু ঘনীভূত হলে কুয়াশা হয়, এবং সেখান থেকে বৃষ্টি হয়, এবং শেষ পর্যন্ত সেখান থেকে শিলার জন্ম হয়, তাই বাতাসই সমস্ত পদার্থের মূল উপাদান। আনুমানিক ৪৩০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে গ্রিক প্রাকৃতিক দার্শনিক এম্পেদোক্লেস প্রস্তাব করেন যে সমস্ত বস্তু বা পদার্থ চারটি মৌলিক উপাদান দিয়ে গঠিত। এগুলি হল মাটি, বাতাস, আগুন ও পানি; এবং এগুলি একত্রিত হয়ে তাপ, শৈত্য, শুষ্কতা, আর্দ্রতা ইত্যাদি ধর্মের জন্ম দেয় এবং সেখান থেকেই সমস্ত পদার্থের উৎপত্তি হয়। এম্পোদেক্লেস চিকিৎসক ও কবিও ছিলেন। তার মতে উপরের চারটি মূল উপাদানকে যে শক্তি একত্রে ধরে রেখেছে, তা হল ভালবাসা। আর যে শক্তি এগুলিকে বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা করছে, তা হল যুদ্ধ। ভালবাসা ও যুদ্ধের মধ্যকার টানাপোড়েনের মাধ্যমেই বিশ্বের সব পদার্থ গঠিত হয়েছে। এম্পেদোক্লেসের এই পদার্থ সম্পর্কে ইউরোপীয় ধ্যানধারণাকে বহু শতাব্দী যাবৎ প্রভাবিত করে রাখে। পরে ১৬শ-১৭শ শতকে বৈজ্ঞানিক বিপ্লবের পরে এই ধারণা পরিত্যক্ত হয়। আনুমানিক ৪০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে আরেক গ্রিক প্রাকৃতিক দার্শনিক আবদেরার দেমোক্রিতুস প্রস্তাব করেন যে সব পদার্থ অত্যন্ত ক্ষুদ্র কণাসদৃশ পরমাণু নামক অবিভাজ্য একক দিয়ে গঠিত। দেমোক্রিতুস সম্ভবত তার শিক্ষক লেউকিপ্পুসের কাছ থেকে এই ধারণাটি পান। দেমোক্রিতুস মনে করতেন কোনও পদার্থের পরমাণুর ভৌত ধর্ম পদার্থটির মতই হবে; যেমন লোহার পরমাণু হবে লোহার মত কঠিন ও শক্ত, আর পানির "পরমাণু" হবে মসৃণ ও পিচ্ছিল। তার প্রায় একশত বছর পরে ৩০৬ খ্রিস্টপূর্বাব্দে গ্রিক দার্শনিক এপিকুরুস দেমোক্রিতুসের পরমাণু তত্ত্বকে সমর্থন দেন। ধ্রুপদী-উত্তর যুগে ইসলামী চিন্তাবিদদের আলোচনায় পদার্থ রাসাইল আল-ইখওয়ান আস-সাফা ("পবিত্র ভ্রাতৃসংঘের পত্রসমূহ") ১০ম বা ১১শ শতকে মধ্যপ্রাচ্যের (বর্তমান ইরাকের) বসরা শহরকেন্দ্রিক কিছু অজ্ঞাতনামা ইসলামী চিন্তাবিদদের লেখা ৫২টি দার্শনিক পত্র নিয়ে গঠিত ও ৪ খণ্ডে বিভক্ত একটি বিশ্বকোষ যার ২য় খণ্ডে ইসলামী দর্শনের দৃষ্টিকোণ থেকে পদার্থের প্রকৃতি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। তাদের মতে একেশ্বর বা আল্লাহ প্রথমে অনন্য একটিমাত্র বুদ্ধিমান সত্তার (আল-আগ্‌ল) "আদিবুদ্ধি" সৃষ্টি করেন। এই অনন্য বুদ্ধিমান সত্তা থেকে "বিশ্বাত্মা"-র (আল নাফস আল কুল্লিয়া) সৃষ্টি হয়, যার প্রকৃতি সরল। অনন্য বুদ্ধিমান সত্তা এরপর বিশ্বাত্মা থেকে "আদি জড়" (আত্মিক প্রকৃতির) সৃষ্টি করে, যার নাম আল-হাইয়ুলা আল-উলা (যার সাথে আরিস্তোতলীয় গ্রিক দর্শনের "হাইলে"-র মিল আছে)। আদি জড় যখন ভৌত রূপ ধারণ করে, তখন তাকে বলে সার্বজনীন পদার্থ বা পরম বস্তু (আল-জিসম আল-মুতলাক)। এই সার্বজনীন পদার্থ বা পরম বস্তুই হল আমাদের ভৌত মহাবিশ্বের ভিত্তি। ভৌত মহাবিশ্ব সাতটি গোলক নিয়ে গঠিত যেগুলি হল শনি, বৃহস্পতি, মঙ্গল, সূর্য, শুক্র, বুধ ও চন্দ্রের অধীন সাতটি গোলক। গোলকগুলি ইথারের মত একটি পদার্থ নিয়ে গঠিত, যার কোনও ক্ষয় নেই। পৃথিবী চন্দ্রের গোলকের অধীনে অবস্থিত এবং এর সবকিছু আগুন, বায়ু, পানি ও মাটি - এই চারটি মৌলিক প্রাকৃতিক পদার্থ নিয়ে গঠিত, যাদের ক্ষয় ও পরিবর্তন হয়। মৌলিক প্রাকৃতিক পদার্থগুলি সার্বজনীন পদার্থের চারটি ভিন্ন রূপ। মৌলিক প্রাকৃতিক পদার্থগুলি আবার তিন ধরনের যৌগিক বা জটিল প্রাকৃতিক পদার্থের শ্রেণী গঠন করেছে যেগুলি হল খনিজ, প্রাণী ও উদ্ভিদ। প্রাকৃতিক পদার্থগুলি আবার শেষ পর্যন্ত "কারিগরি পদার্থ" তৈরি করেছে, যেগুলি নিয়ে মানুষ কারিগরি কাজ করে। যেমন খাট তৈরি করতে উদ্ভিজ্জ কাঠ লাগে, এখানে কাঠ একটি "কারিগরি পদার্থ"। আবার কাঠ প্রকৃতিতে একটি "প্রাকৃতিক পদার্থ" হিসেবে পাওয়া যায়, যেটি আবার চারটি মৌলিক পদার্থের সমন্বয়ে গঠিত হয়েছে, যেগুলি আবার সর্বপদার্থ থেকে উৎসারিত হয়েছে। ভ্রাতৃসংঘের পদার্থ বিষয়ক এই মতবাদ মূলত গ্রিক দার্শনিক আরিস্তোতলীয় মতের উপরে প্রতিষ্ঠিত। ১৭শ ও ১৮শ শতক গ্রিক চিন্তাধারার প্রায় ২ হাজার বছর পরে, ১৬৪৯ খ্রিষ্টাব্দে ফরাসি দার্শনিক পিয়ের গাসঁদি এপিকুরুসের রচনা পড়ে আবারও একটি পারমাণবিক তত্ত্ব প্রস্তাব করেন। ১৬৬১ সালে রবার্ট বয়েল মৌলিক পদার্থের সংজ্ঞা দেন। ১৮০৩ সালে জন ডালটন তার নিজস্ব পারমাণবিক তত্ত্ব দেন, যেখানে ভিন্ন ভিন্ন মৌলিক পদার্থের পরমাণুগুলি ভিন্ন ভিন্ন ভরের হয়। ১৭শ ও ১৮শ শতকে ইংরেজ বিজ্ঞানী আইজাক নিউটন তার রুলস অফ রিজনিং ইন ফিলসফি গ্রন্থের তৃতীয় খণ্ডে লেখেন যে স্থান দখল, কাঠিন্য, অভেদ্যতা, গতি ও জড়তা হল পদার্থের সার্বজনীন কিছু বৈশিষ্ট্য। এরপরে অপটিকস গ্রন্থে তিনি পদার্থকে "কঠিন, ভরযুক্ত, শক্ত, অভেদ্য, গতিশীল কণিকা...যে কণাগুলি কখনও ভাঙা যায় না" এরকম কিছু হিসেবে কল্পনা করেন। ১৯শ ও ২০শ শতক ১৯শ শতকের শেষে ও ২০শ শতকের প্রারম্ভে এসে বিজ্ঞানীরা পদার্থ সম্পর্কে আরও গভীর উপলব্ধি লাভ করেন। ১৮৬৯ সালে দিমিত্রি মেন্দেলিয়েভ সেসময় জ্ঞাত সমস্ত মৌলিক পদার্থকে তাদের সাধারণ ধর্মের ভিত্তিতে একটি পর্যায় সারণিতে শ্রেণীবিন্যস্ত করে। ১৮৯৭ সালে জোসেফ জন টমসন ইলেকট্রন আবিষ্কার করেন এবং ১৯০৩ সালে তিনি তার “কিশমিশের পুডিং” নামের পরমাণু আদলটি প্রস্তাব করেন, যেখানে ধনাত্মক আধানের পরমাণুর মধ্যে ঋণাত্মক ইলেকট্রনগুলি গ্রথিত থাকে। একই বছরে জাপানি পদার্থবিজ্ঞানী হানতারো নাগাওকা পরমাণুর "শনিগ্রহ আদল" প্রস্তাব করেন যেখানে একটি পরমাণু কেন্দ্র বা নিউক্লিয়াসের চারদিকে বলয়ের মত বহু ইলেকট্রন ঘুরছে। ১৯১১ সালে আর্নেস্ট রাদারফোর্ড পরমাণুর কেন্দ্র বা নিউক্লিয়াস পরীক্ষাগারে শনাক্ত করেন। ১৯১৩ সালে নিলস বোর পরমাণুর যে আদল প্রস্তাব করেন তাতে ইলেকট্রনগুলি একাধিক কোয়ান্টাম সংখ্যা দ্বারা সংজ্ঞায়িত বিভিন্ন নির্দিষ্ট কক্ষপথে পরমাণুকেন্দ্র বা নিউক্লিয়াসকে আবর্তন করে। ১৯০৫ সালে আলবার্ট আইনস্টাইনের বিশেষ আপেক্ষিকতা তত্ত্ব প্রমাণ করে যে পদার্থের ভর এবং শক্তি একে অপরের সাথে রূপান্তরযোগ্য, যা বিখ্যাত E = mc2 সমীকরণটি দিয়ে প্রকাশ করা সম্ভব। এখানে E হল শক্তি, m হল ভর, এবং c হল আলোর দ্রুতি। যেমন নিউক্লীয় বিদারণ বিক্রিয়াতে এই রূপান্তরটি ঘটে। এক্ষেত্রে একটি ভারী মৌলিক পদার্থের পরমাণুকেন্দ্র যেমন ইউরেনিয়াম পরমাণুকেন্দ্র বিভক্ত হয়ে অপেক্ষাকৃত ক্ষুদ্রতর মোট ভরবিশিষ্ট দুইটি ভগ্নাংশে বিভক্ত হয়ে যায়। ইউরেনিয়াম পরমাণুর ভর ও ভগ্নাংশদ্বয়ের মোট ভরের মধ্যকার যে পার্থক্য, সেটি শক্তি রূপে বিকীর্ণ হয়। ১৯১৬ সালে প্রকাশিত আইনস্টাইনের মহাকর্ষ সম্পর্কিত তত্ত্বে (যা সাধারণ আপেক্ষিকতা তত্ত্ব নামেও পরিচিত) জড়তাভিত্তিক ভর এবং মহাকর্ষীয় ভরের পর্যবেক্ষণকৃত সমতাকে কেন্দ্রীয় একটি উপপাদ্য ধরে নিয়ে দেখানো হয় যে পদার্থ তার আশেপাশের স্থান-কাল পরম্পরায় যে বিকৃতির সৃষ্টি করে, তা থেকেই মহাকর্ষের উদ্ভব ঘটে। কোয়ান্টাম বলবিজ্ঞান পদার্থের ধারণাটিকে আরও জটিলতা দান করেছে। ১৯০০ সালে মাক্স প্লাংক উত্তপ্ত বস্তুর দ্বারা বিকীর্ণ তড়িচ্চুম্বকীয় তরঙ্গের ধর্ম ব্যাখ্যা করতে গেলে কোয়ান্টাম বলবিজ্ঞানের সূচনা হয়। কোয়ান্টাম বলবিজ্ঞান অনুযায়ী অতিপারমাণবিক কণিকাগুলি একই সাথে অত্যন্ত ক্ষুদ্র কিছু গোলকের মত এবং স্থানের মধ্যে প্রসারিত তরঙ্গের মত আচরণ করে। এই আপাত অসঙ্গতি এখনও পুরোপুরি ব্যাখ্যা করা সম্ভব হয়নি। ১৯৩০-এর দশক থেকে শুরু হওয়া জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক পর্যবেক্ষণগুলির কারণে পদার্থের সংজ্ঞা আরও জটিল হয়ে ওঠে। সুইজারল্যান্ডীয় জ্যোতির্বিজ্ঞানী ফ্রিৎস স্ভি‌কি একটি গাণিতিক আদলের সাহায্যে মহাকাশের একটি ছায়াপথগুচ্ছের ("কোমা" ছায়াপথগুচ্ছ) সামগ্রিক ভর গণনা করতে গিয়ে দেখেন যে গুচ্ছটির সমস্ত দৃশ্যমান তারার যে সামগ্রিক ভর, তার চেয়ে গুচ্ছটির মোট ভর প্রায় ৪০০ গুণ বেশি। স্‌ভিকি এই অতিবিপুল ভরবিশিষ্ট অদৃশ্য পদার্থের নাম দেন "তমোপদার্থ"। তবে ১৯৫০-এর দশকে বিজ্ঞানীরা বুঝতে পারেন যে অনেক পদার্থ দৃশ্যমান আলো বিকিরণ না করলেও খালি চোখে অদৃশ্য অবলোহিত ও বেতার তরঙ্গ বিকিরণ করে তাদের উপস্থিতির জানান দেয়। ফলে তথাকথিত "অদৃশ্য" পদার্থের বেশ বড় অংশই পরে আধুনিক বেতার প্রযুক্তির (বেতার দূরবীক্ষণ যন্ত্র) মাধ্যমে শনাক্ত করা সম্ভব হয়। ১৯৭০-এর দশকে মার্কিন জ্যোতির্বিজ্ঞানী ভেরা রুবিন আকাশগঙ্গা ছায়াপথের ভেতরে ভরের বিতরণ নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে দেখেন যে ছায়াপথের দৃশ্যমান পরিসীমার বাইরেও অনেক ভরযুক্ত পদার্থ ছড়িয়ে আছে, যে অঞ্চলকে "ছায়াপথের আভা" নাম দেওয়া হয়। ছায়াপথের দৃশ্যমান তারাসমূহের যে বিতরণ আছে, তাতে ছায়াপথের কেন্দ্রের তারাগুলি বেশি দ্রুত বেগে এবং কেন্দ্র থেকে দূরে পরিসীমার কাছের তারাগুলির অপেক্ষাকৃত কম বেগে আবর্তন করার কথা। কিন্তু রুবিন তারাদের গতিবেগ পরীক্ষা করে দেখেন একটি নির্দিষ্ট দূরত্বের পরে তারাগুলি একই সমান বেগে ঘুরছে। এভাবেই স্‌ভিকির প্রাথমিক আবিষ্কারের কয়েক দশক পরে আবারও তমোপদার্থের অস্তিত্ব প্রমাণ হয়। বর্তমানে জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের প্রায় সবাই একমত যে মহাবিশ্বের এক বিশাল অংশ “তমোপদার্থ” দিয়ে গঠিত। এটি কষ্টসাধ্যভাবে খুঁজে বের করতে হয়, এরকম সাধারণ পদার্থ থেকে আলাদা একটি পদার্থ। এই অদৃশ্য পদার্থ আলোর গতির উপর প্রভাব ফেলে না বা সাধারণ পদার্থের সাথে কোন ক্রিয়া করে না; কেবল মহাকর্ষীর প্রভাবের জন্য এগুলিকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। এই তমোপদার্থের বিস্তারিত বৈশিষ্ট্যাবলি এখনও উদ্ঘাটন করা সম্ভব হয়নি। তবে ধারণা করা হয় এগুলি তথাকথিত "দুর্বলরূপে আন্তঃক্রিয়াশীল ভরযুক্ত কণা" (Weakly interacting massive particle) দিয়ে গঠিত। ১৯৯০-এর দশকের শেষের দিকে মহাবিশ্বের আরেকটি উপাদান আবিষ্কৃত হয়, যার নাম দেওয়া হয় তমোশক্তি। এই তমোশক্তির কারণে মহাবিশ্ব দ্রুত থেকে দ্রুততর সম্প্রসারিত হচ্ছে। তমোশক্তির পরিমাণ এতই বিপুল যে এটি মহাবিশ্বের প্রায় ৬৮% শক্তির প্রতিনিধিত্ব করে। এর তুলনায় তমোপদার্থের শক্তি মহাবিশ্বের মোট শক্তির প্রায় ২৭% এবং সাধারণ পদার্থের শক্তি মহাবিশ্বের সামগ্রিক শক্তির মাত্র প্রায় ৫%। সাম্প্রতিক কাল সাম্প্রতিককালে একটি একীভূত ক্ষেত্র তত্ত্ব নির্মাণের ব্যাপারে গবেষণার ফলাফল হিসেবে অতিপারমাণবিক কণিকাগুলির মধ্যে যে চার ধরনের আন্তঃক্রিয়া ঘটে, তাদের মধ্যে মহাকর্ষ বল বাদে অবশিষ্ট তিন ধরনের বলকে (সবল নিউক্লীয় বল, দুর্বল নিউক্লীয় বল, তড়িচ্চুম্বকীয় বল) একটিমাত্র ধারণাগত কাঠামোয় স্থাপন করা সম্ভব হয়েছে। এর ফলে পদার্থবিজ্ঞানীরা সম্ভবত ভরের উৎসের ব্যাখ্যার প্রায় দ্বারপ্রান্তে এসে পৌঁছেছেন, যদিও একটি সম্পূর্ণরূপে সন্তোষজনক বৃহৎ একীভূত তত্ত্ব এখনও বের করা সম্ভব হয়নি। ১৯৭৯ সালের নোবেল পুরস্কার বিজয়ী শেলডন গ্লাসগো, আবদুস সালাম এবং স্টিভেন ওয়াইনবার্গ যে তড়িৎ-দুর্বল তত্ত্বটি প্রদান করেন, সেটিতে হিগস বোসন নামক একটি অতিপারমাণবিক কণিকার অস্তিত্ত্বের ব্যাপারে ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়। বলা হয় এই কণিকাটি সমস্ত জানা অতিপারমাণবিক কণাতে ভরের উৎস। এরপর বহু বছর ধরে অত্যন্ত শক্তিশালী কণিকা ত্বরকযন্ত্র দিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা চালানোর পরে ২০১২ সালে বিজ্ঞানীরা হিগস বোসনের সম্ভাব্য অস্তিত্বের ব্যাপারে ঘোষণা দেন। দর্শনশাস্ত্রেও সাধারণত পদার্থকে ভৌত বিশ্বের কাঁচামাল হিসেবেই গণ্য করা হয়েছে। তবে আদর্শবাদ মতধারার কিছু দার্শনিক, যেমন আইরিশ দার্শনিক জর্জ বার্কলি মন ছাড়া পদার্থের অস্তিত্বকে অস্বীকার করেছেন। বেশির ভাগ আধুনিক দার্শনিক পদার্থের বৈজ্ঞানিক সংজ্ঞা মেনে নিয়েছেন। তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:পদার্থবিজ্ঞান বিষয়শ্রেণী:পদার্থ
পদার্থ
বৈকাল হ্রদ () রাশিয়ার সাইবেরিয়ার দক্ষিণভাগে অবস্থিত একটি সুপেয় পানির হ্রদ। এর উত্তর-পশ্চিম অংশ ইর্কুৎস্ক ওবলাস্ত এবং দক্ষিণ-পূর্ব অংশ বুরিয়াত প্রজাতন্ত্রে পড়েছে। হ্রদটির আয়তন প্রায় ৩১,৫০০ বর্গকিলোমিটার। এটি বিশ্বের গভীরতম হ্রদ। এর সর্বাধিক গভীরতা ১,৬৩৭ মিটার। তিনশোরও বেশি নদীর পানি এসে এই হ্রদে পড়েছে। কেবল মাত্র নিম্ন আঙ্গারা নদীর মাধ্যমে হ্রদের পানি বাইরে নিষ্কাশিত হয়। প্রকৃতির এক আশ্চর্য বিস্ময় এই হ্রদটি মৎস্যসম্পদে সমৃদ্ধ এবং এর আশেপাশের অরণ্য অঞ্চল জীববৈচিত্র‌্যের এক বিপুল প্রাকৃতিক সম্ভার। বৈকাল হ্রদ এলাকায় ১৭০০-রও বেশি প্রজাতির উদ্ভিদ ও প্রাণী আছে, যাদের দুই-তৃতীয়াংশ পৃথিবীর অন্য কোথাও পাওয়া যায় না। বৈকাল হ্রদের পানি অত্যন্ত অক্সিজেনসমৃদ্ধ; হ্রদের পাঁচ হাজার ফুট গভীরেও জলজ প্রাণীর বাস আছে। ১৯৯৬ সালে এটিকে একটি ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান ঘোষণা করা হয়। বৈকাল হ্রদ "সাইবেরিয়ার নীল নয়ন" বা "সাইবেরিয়ার মুক্তা" নামে পরিচিত। সঞ্চিত পানির আয়তন অনুযায়ী এটি বিশ্বের বৃহত্তম মিষ্টি পানির হ্রদ। এখানে মিষ্টি পানির পরিমাণ উত্তর আমেরিকার গ্রেট লেক্‌সের সবগুলি হ্রদে সঞ্চিত মিষ্টি পানির চেয়ে বেশি। বৈকাল হ্রদ প্রায় ২ কোটি ৫০ লক্ষ বছর পুরনো; এটিই বিশ্বের প্রাচীনতম হ্রদ। বৈকাল হ্রদ রাশিয়ার সর্ব-উত্তরের অঞ্চল সাইবেরিয়ার দক্ষিণে প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্ট এবং পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ও প্রাচীন হ্রদ। এটির চারদিক পাহাড় ঘেরা। ধারণা করা হয়, ২৫ থেকে ৩০ মিলিয়ন বছর আগে ‘বৈকাল ফাটল এলাকা’র ভূগর্ভে তীব্র আলোড়নের ফলে ভূপৃষ্ঠে একপ্রকার ফাটলের সৃষ্টি হয়; আর তারই ফলে এই বিশাল জলাশয়— বৈকাল হ্রদের সৃষ্টি। আয়তনের মতো গভীরতার বিচারেও এটি পৃথিবীর সর্ববৃহত্ হ্রদ। ৫ লাখ ৬০ হাজার বর্গকিলোমিটার বা ২ লাখ ১৬ হাজার বর্গমাইল এলাকা জুড়ে এর অবস্থান। এই হ্রদ লম্বায় ৬৩৬ কিলোমিটার বা ৩৯৫ মাইল; চওড়ায় সর্বোচ্চ ৭৯ কিলোমিটার বা ৪৯ মাইল। এর গড় গভীরতা ৭৪৪.৪ মিটার বা ২ হাজার ৪৪২ ফুট; আর সর্বোচ্চ গভীরতা ১ হাজার ৪৪২ মিটার বা ৫ হাজার ৩৮৭ ফুট। সৈকত বা বেলাভূমির দৈর্ঘ্য ২ হাজার ১০০ কিলোমিটার (১ হাজার ৩০০ মাইল)। বৈকাল হ্রদ সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১ হাজার ১৮৬.৫ মিটার বা ৩ হাজার ৮৯৩ ফুট নিচে। এই হ্রদে রয়েছে ছোট-বড় ২৭টি দ্বীপ। সবচেয়ে বড় দ্বীপটির নাম ওলখন, যা লম্বায় ৭২ কিলোমিটার। বৈকাল হ্রদ পৃথিবীর মধ্যে সর্ববৃহত্ স্বচ্ছ পানির হ্রদ। বিশালতার কারণে প্রাচীন চীনা পাণ্ডুলিপিতে এই হ্রদকে ‘উত্তর সাগর’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। বহুকাল ধরে ইউরোপের মানুষ সাগরসদৃশ এই হ্রদের খবর জানতো না। রাশিয়া এই অঞ্চলে তাদের রাজ্য সম্প্রসারিত করলে সর্বপ্রথম কুরবাত ইভনিভ নামক এক রুশ অনুসন্ধানী গবেষক ১৬৪৩ খ্রিষ্টাব্দে এই এলাকায় পৌঁছেন। তার মাধ্যমে প্রকৃতির অপরূপ বিস্ময় ও সৌন্দর্যের লীলাভূমি বৈকাল হ্রদ এবং তার পাড় জীব-বৈচিত্র্যের এক সমৃদ্ধ ভাণ্ডার। হ্রদের পাড়ের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে ১ হাজার ৭০০’রও বেশি জাতের গাছপালা ও জীবজন্তু রয়েছে, যার এক-তৃতীয়াংশ পৃথিবীর অন্য কোথাও দেখা যায় না। এখানে রয়েছে ওমূল, গোলেমিংকা, স্যামন প্রভৃতি মাছ এবং নানাজাতের শামুক, শ্যাওলা ইত্যাদি। এর পূর্ব পাড়ে বাস করে বুরিয়াত নামক আদিবাসী সম্প্রদায়। বৈকাল শীতপ্রধান এলাকা। শীতকালে এখানকার তাপমাত্রা শূন্যের নিচে ১৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস; আর গ্রীষ্মকালে সর্বোচ্চ ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শীতকালে হ্রদের পানি বরফ হয়ে পুরো আস্তরণ তৈরি হয়; তখন তার ওপর দিয়ে দিব্যি হেঁটে যাওয়া যায়। প্রকৃতির বিস্ময় বৈকাল হ্রদে সারা পৃথিবীর অনুসন্ধানী গবেষক আর সৌন্দর্যপিপাসু পর্যটকদের ভিড় লেগেই থাকে সারাবছর। right|thumb|300px|বৈকাল হ্রদের মধ্যবর্তী ওলখন দ্বীপ থেকে তোলা হ্রদের ছবি thumb|300px|শীতকালে বৈকাল হ্রদের উপরিভাগ বরফে জমাট বেঁধে যায়; তখন এর উপর দিয়ে হাঁটা যায় তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:জলভূমি বিষয়শ্রেণী:রাশিয়ার হ্রদ বিষয়শ্রেণী:পৃথিবীর চরম বিন্দু
বৈকাল হ্রদ
রেডন (Radon, Rn) পর্যায় সারণীর ৮৬তম মৌল। নিষ্ক্রিয় গ্যাসের মধ্যে এটিই সবচেয়ে ভারী। এটি অত্যন্ত তেজস্ক্রিয় এবং প্রকৃতিতে এর প্রাচুর্য খুবই কম। আমরা রেডন বলতে যা বুঝি তা প্রকৃতপক্ষে ৮৬তম রাসায়নিক মৌলের তিনটি সমস্থানিক মিশ্রণের নাম। এই মিশ্রণগুলোর একটির পর আরেকটি আবিষ্কৃত হয় এবং প্রত্যেককেই প্রসর্গ বলা হয়। নামকরণ রেডিয়ামের প্রসর্গ হিসেবে রেডন নামটির উদ্ভব হয়। এই নামটি প্রস্তাব করেছিলেন বিজ্ঞানী রামজে। লাতিন ভাষায় এর অর্থ প্রদীপ্ত। আবিষ্কারের ইতিহাস প্রাকৃতিক প্রাচুর্য কম হওয়ার কারণে দীর্ঘদিন রেডন মৌলটিকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। ডব্লিউ রামজে এবং এম ট্রাভার্স এটি ছাড়া অন্যান্য নিষ্ক্রিয় গ্যাসগুলো আবিষ্কার করে ফেলেছিলেন। রেডন আবিষ্কারের জন্য যথারীতি তেজস্ক্রিয়ামিতি পদ্ধতির আশ্রয় নিতে হয়েছিল। রেডন আবিষ্কার করতে গিয়ে যে প্রসর্গগুলো আবিষ্কৃত হয় সেগুলো ছিল প্রথম গ্যাসীয় তেজস্ক্রিয় পদার্থ। তাই এর মাধ্যমে তেজস্ক্রিয়তা গবেষণার ইতিহাসে নতুন দিগন্তের সূত্রপাত ঘটে। ১৮৯৯ সালের শুরুর দিকে রসায়নবিদ আর্নেস্ট রাদারফোর্ড তার সহগবেষক আর ওয়েন্‌স-এর সাথে মিলে থোরিয়াম যৌগের তেজস্ক্রিয়তা নিয়ে গবেষণা করছিলেন। একদিন ওয়েন্‌স গবেনাগারে প্রবেশের সময়ে দরজাটি বেশ জোরে খোলেন। দরজার কাছাকাছিই থোরিয়াম যৌগের বিক্রিয়া সংক্রান্ত গবেষণাটি চলছিল। গবেষকগণ লক্ষ্য করলেন, দরজা খোলার কারণে কক্ষে যে বাতাস প্রবেশ করেছে তার প্রভাবে থোরিয়াম প্রস্তুতকরণের সময়কার বিকিরণের তীব্রতা কমে গেছে। প্রথমে এই ঘটনাটিকে তারা খুব একটা গুরুত্ব দেননি। কিন্তু অচিরেই বুঝতে পারেন হালকা বাতাস প্রবাহিত হলেও থোরিয়ামের তেজস্ক্রিয়তা অনেক কমে যায়। এ থেকে রাদারফোর্ড ও ওয়েন্‌স বুঝতে পারেন থোরিয়াম থেকে অবিরাম ধারায় তেজস্ক্রিয় গ্যাস নির্গত হয়। তারা একে থোরিয়ামের প্রসর্গ বলেন এবং নাম দেন থোরন। লাতিন ভাষায় থোরন শব্দের অর্থ প্রবাহিত হওয়া। এরপর ধারণা করা হয়েছিল, অন্যান্য সব তেজস্ক্রিয় পদার্থই প্রসর্গ নির্গত করতে পারে। ১৯০০ সালে জার্মান পদার্থবিজ্ঞানী ই ডর্ন রেডিয়মের প্রসর্গটি আবিষ্কার করেন এবং এর নাম দেয়া হয় রেডন। এর তিন বছর পর দ্যবিয়েন অ্যাক্টিনিয়ামের প্রসর্গ আবিষ্কার করেন। এভাবে দুটি নতুন গ্যাসীয় তেজস্ক্রিয় পদার্থ তথা প্রসর্গ পাওয়া যায় যাদের নাম রেডন এবং অ্যাক্টিনন। থোরন, রেডন এবং অ্যাক্টিননের মধ্যে কেবলমাত্র অর্ধায়ুর পার্থক্য ছিল। তাদের অর্ধায়ু যথাক্রমে ৫১.৫ সেকেন্ড, ৩.৮ দিন এবং ৩.০২ সেকেন্ড। রেডনের অর্ধায়ু সবচেয়ে বেশি হওয়ায় পরবর্তীতে প্রসর্গ সংক্রান্ত গবেষণায় একে ব্যবহার করা হতো। অর্ধায়ু ছাড়া এদের ধর্মে অন্য কোন পার্থক্য ছিল না। এদের কেউই রাসায়নিক বিক্রিয়ায় অংশ নিত না, অর্থাৎ এরা সবাই নিষ্ক্রিয় গ্যাস ছিল। পরে অবশ্য দেখা যায় এদের পারমাণবিক ভর ভিন্ন ভিন্ন। রেডনকে নয় পর্যায় সারণীতে স্থান দেয়া গেল। কিন্তু অন্য দুটি গ্যাসীয় মৌলের জন্য জেননের পরে মাত্র একটি ঘর খালি ছিল। অবশেষে কেবল রেডনই টিকে যায় এবং একে পর্যায় সারণীতে অন্তর্ভুক্ত করে নেয়া হয়। অন্যতম কারণ একমাত্র এরই অর্ধায়ু যথেষ্ট ছিল। আরও দেখুন পর্যায় সারণী নিষ্ক্রিয় গ্যাস বিষয়শ্রেণী:মৌলিক পদার্থ বিষয়শ্রেণী:নিষ্ক্রিয় গ্যাস
রেডন
right|thumb|মোহাম্মদ রুহুল আমিনের সমাধি মোহাম্মদ রুহুল আমিন (১৯৩৫ - ১০ ডিসেম্বর ১৯৭১) বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী একজন শহিদ মুক্তিযোদ্ধা। বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে চরম সাহসিকতা আর অসামান্য বীরত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ যে সাতজন বীরকে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সামরিক সম্মান “বীর শ্রেষ্ঠ” উপাধিতে ভূষিত করা হয় তিনি তাদের অন্যতম। জন্ম ও শিক্ষাজীবন মোহাম্মদ রুহুল আমিন ১৯৩৫ সালে নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ি উপজেলার বাঘপাঁচড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা আজহার পাটোয়ারী এবং মায়ের নাম জোলেখা খাতুন। তিনি ছিলেন বাবা মায়ের প্রথম সন্তান। তারা ছিলেন ছয় ভাইবোন। তিনি বাঘচাপড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াশোনা শেষ করে আমিষাপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি হন। এখান থেকে এসএসসি পাশ করে ১৯৫৩ সালে জুনিয়র মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে পাকিস্তান নৌবাহিনীতে যোগদান করেন। কর্মজীবন মোহাম্মদ রুহুল আমিন পাকিস্তান নৌবাহিনীতে যোগ দেয়ার পর প্রাথমিক প্রশিক্ষণ নেয়ার জন্য তিনি যান করাচির নিকটবর্তী আরব সাগরে মধ্যে অবস্থিত মানোরা দ্বীপে পাকিস্তানি নৌঘাঁটি (পি.এন.এস) বাহাদুরে। প্রাথমিক প্রশিক্ষণ গ্রহণের পর সেখান থেকে পি.এন.এস. কারসাজে যোগদান করেন। পরবর্তীতে পি.এন.এস বাবর, পি.এন.এস খাইবার এবং পি.এন.এস তুঘরিলে দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৫৮ সালে পেশাগত প্রশিক্ষণ শেষ করেন। ১৯৬৫ সালে মেকানিসিয়ান কোর্সের জন্য নির্বাচিত হন। পি.এন.এস. কারসাজে কোর্স সমাপ্ত করার পর আর্টিফিসার পদে নিযুক্ত হন। ১৯৬৮ সালে চট্টগ্রাম পি.এন.এস. বখতিয়ার নৌঘাঁটিতে বদলি হয়ে যান। ১৯৭১ সালের এপ্রিলে ঘাঁটি থেকে পালিয়ে যান। বাড়িতে গিয়ে ছাত্র, যুবক ও সামরিক আধাসামরিক বাহিনীর লোকদের মুক্তিযুদ্ধের প্রশিক্ষণ দেন। এর কিছুদিন পর ভারতের ত্রিপুরা সীমান্ত অতিক্রম করে আগরতলা সেক্টর প্রধান কোয়ার্টারে যান এবং সেখানে মেজর শফিউল্লাহর অধীনে ২ নম্বর সেক্টরে মুক্তিযুদ্ধে যোগদান করেন। সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ২ নম্বর সেক্টরের অধীনে থেকে বিভিন্ন স্থলযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা ১৯৭১ সালের মার্চে রুহুল আমিন চট্টগ্রামে কর্মরত ছিলেন৷ একদিন সবার অলক্ষ্যে সকলের চোখকে ফাঁকি দিয়ে বের হয়ে পড়েন নৌঘাঁটি থেকে৷ পালিয়ে সীমান্ত পার হয়ে তিনি চলে যান ত্রিপুরা৷ যোগ দেন ২ নং সেক্টরে৷ মেজর শফিউল্লাহের নেতৃত্বে ২ নং সেক্টরে তিনি সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন এবং স্থলযুদ্ধের বিভিন্ন অভিযানে যোগ দেন৷ ১৯৭১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বাংলাদেশ নৌবাহিনী গঠনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়৷ এ উদ্দেশ্যে নৌবাহিনীর সদস্যদের যাঁরা বিভিন্ন সেক্টর ও সাব-সেক্টরে থেকে মুক্তিযুদ্ধ করছিলেন তাদেরকে সেপ্টেম্বর মাসে একত্রিত করা হয় আগরতলায় এবং গঠন করা হয় ১০ নং সেক্টর৷ ইঞ্জিনরুম আর্টিফিসার মোহাম্মদ রুহুল আমিন নৌবাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে আগরতলায় একত্রিত হয়ে কলকাতায় আসেন এবং যোগ দেন ১০ নং নৌ সেক্টরে৷ পরবর্তীকালে অবস্থার প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের নিজস্ব একটি নৌবাহিনী তৈরির পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। ভারতীয় নৌবাহিনীর ক্যাপ্টেন মণীন্দ্রনাথ সামন্তের সার্বিক তত্ত্বাবধানে বিভিন্ন সেক্টর ও সাব-সেক্টর থেকে নৌবাহিনীর সদস্যদের একত্রিত করার ব্যবস্থা করা হয়। আর এ উদ্যোগের ফলে বাংলাদেশ নৌবাহিনী গঠিত হলে কলকাতায় চলে আসেন। ভারত সরকার বাংলাদেশ সশস্ত্রবাহিনী কে কলকাতা বন্দরে গার্ডেনরিচ ডক ইয়ার্ডে দুইটি গানবোট উপহার দেয়। সেখানে প্রতিটি বোটে কানাডীয় ধরনের ২টি বাফার গান লাগিয়ে এবং ব্রিটিশ ধরনের ৫০০ পাউন্ড ওজনের ৪টি মার্কমাইন বহনের উপযোগী করে গানবোটে রূপান্তর করা হয়। গানবোটগুলোর নামকরণ করা হয় 'পদ্মা' ও 'পলাশ'। রুহুল আমিন পলাশের প্রধান ইঞ্জিনরুমে আর্টিফিসার হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ৬ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে যশোর সেনানিবাসের পতন ঘটে। পাকিস্তানি বাহিনী পিছু হটতে থাকে। সে সময় পাকিস্তানি বাহিনীর নিয়ন্ত্রিত খুলনাস্থ নৌঘাট দখল করার পরিকল্পনা নিয়ে ভারতীয় গানবোট পাভেলের সাথে যুক্ত হয়ে ১০ ডিসেম্বর মংলা বন্দরে পৌঁছায়। সেখানে পাকিস্তানি সেনা ও নৌবাহিনী আত্মসমর্পণ করে। 'পলাশ' ও 'পদ্মা' মংলা বন্দর হয়ে খুলনার দিকে রওয়ানা দেয়। গানবোট 'পাভেল' সামনে আর পেছনে 'পলাশ' ও 'পদ্মা'। যেভাবে শহীদ হলেন ৬ ডিসেম্বর মুক্তিবাহিনী যশোর সেনানিবাস দখলের পর 'পদ্মা', 'পলাশ' এবং ভারতীয় মিত্রবাহিনীর একটি গানবোট 'পাভেল' খুলনার মংলা বন্দরে পাকিস্তানি নৌঘাঁটি পি.এন.এস. তিতুমীর দখলের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। ১০ ডিসেম্বর দুপুর ১২টার দিকে গানবোটগুলো খুলনা শিপইয়ার্ডের কাছে এলে ভারতীয় বিমান বাহিনীর ৩টি জঙ্গিবিমান জাহাজগুলোর দিকে ছুটে আসে। পাকিস্তানি বিমান ভেবে পদ্মা ও পলাশ থেকে গুলি করার অনুমতি চাওয়া হয়। কিন্তু অভিযানের সর্বাধিনায়ক ক্যাপ্টেন মনেন্দ্রনাথ ভারতীয় বিমান মনে করে গুলিবর্ষণ থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেন। এর কিছুক্ষণ পরে বিমানগুলো অপ্রত্যাশিতভাবে নিচে নেমে আসে এবং মুক্তিযোদ্ধাদের জাহাজগুলোর উপর আচমকা গুলিবর্ষণ শুরু করে। কিন্তু ভারতীয় জাহাজটি সম্পূর্ন অক্ষত থেকে যায়, কারণ বিমানগুলো সেটিকে লক্ষ করে হামলাই করেনি। প্রথম গোলা এসে পড়ে 'পদ্মা'য় এবং পরবর্তীতে 'পলাশে'। গোলা সরাসরি 'পদ্মা'র ইঞ্জিন রুমে আঘাত করে ইঞ্জিন বিধ্বস্ত করে। হতাহত হয় অনেক নাবিক। 'পদ্মা'-র পরিণতিতে পলাশের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার রায় চৌধুরী নাবিকদের জাহাজ ত্যাগের নির্দেশ দেন। রুহুল আমিন এই আদেশে ক্ষিপ্ত হন। তিনি উপস্থিত সবাইকে যুদ্ধ বন্ধ না করার আহ্বান করেন। কামানের ক্রুদের বিমানের দিকে গুলি ছুঁড়তে বলে ইঞ্জিন রুমে ফিরে আসেন। কিন্তু অধিনায়কের আদেশ অমান্য করে বিমানগুলোকে চ্যালেঞ্জ করা হয়নি। বিমানগুলো উপর্যুপরি বোমাবর্ষণ করে পলাশের ইঞ্জিনরুম ধ্বংস করে দেয়। আহত হন তিনি। কিন্তু অসীম সাহসী রুহুল আমিন তারপরও চেষ্টা চালিয়ে যান 'পলাশ'কে বাঁচানোর। তবে ইঞ্জিন বিকল হয়ে আগুন ধরে যায় এবং গোলার আঘাতে রুহুল আমিনের ডান হাতটি সম্পূর্ণ উড়ে যায়। অবশেষে পলাশের ধ্বংশাবশেষ পিছে ফেলেই আহত রুহুল আমিন ঝাঁপিয়ে পড়েন রূপসা নদীতে। প্রাণশক্তিতে ভরপুর এ যোদ্ধা একসময় পাড়েও এসে পৌঁছান। কিন্তু ততক্ষণে সেখানে রাজাকারের দল অপেক্ষা করছে তার জন্য। আহত এই বীর সন্তান রাজাকারদের হাতে শহীদ হন। তার মৃতদেহ বেশকিছুদিন সেখানে পড়ে ছিলো অযত্নে, অবহেলায়। পরবর্তীতে স্থানীয় জনসাধারণ বাগমারা গ্রামে রূপসা নদীর পাড়ে তাকে দাফন করে এবং সেখান একটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হয়। বীর শ্রেষ্ঠ সম্মান ১৯৭৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর সরকারি গেজেট নোটিফিকেশন অনুযায়ী বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সাতজন বীর সন্তানকে মরণোত্তর বীর শ্রেষ্ঠ উপাধিতে ভূষিত করা হয়েছে। রুহুল আমিন সেই সাতজনের অন্যতম। পুরস্কার ও সম্মাননা বীর শ্রেষ্ঠ রুহুল আমিনের নামে রো রো ফেরির নামকরণ করা হয়েছে। বীর শ্রেষ্ঠ আর্টিফিসার মোহাম্মদ রুহুল আমিনের জন্মস্থান নোয়াখালীর বাগপাদুরা গ্রামের নাম পরিবর্তন করে এখন রাখা হয়েছে তার নামে আমিননগর৷ বাড়ির সম্মুখে বীর শ্রেষ্ঠের পরিবারের দেয়া ২০ শতাংশ জমিতেই স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে নোয়াখালী জেলা পরিষদ ৬২ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করছে রুহুল আমিন স্মৃতি জাদুঘর ও গ্রন্থাগার৷ রুহুল আমিনের নামে চট্টগ্রামে বীর শ্রেষ্ঠ শহীদ রুহুল আমিন স্টেডিয়াম নির্মাণ করা হয়েছে।তার নামে অনেক পুরস্কারও প্রচলিত রয়েছে। আরও দেখুন বীর শ্রেষ্ঠ বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ গুণীজন বিষয়শ্রেণী:বীর শ্রেষ্ঠ বিষয়শ্রেণী:১৯৩৫-এ জন্ম বিষয়শ্রেণী:১৯৭১-এ মৃত্যু বিষয়শ্রেণী:নাবিক বিষয়শ্রেণী:নোয়াখালী জেলার ব্যক্তি বিষয়শ্রেণী:মুক্তিবাহিনীর কর্মকর্তা বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে নিহত ব্যক্তি
মোহাম্মদ রুহুল আমিন
আবুল বরকত (১৩ অথবা ১৬ জুন ১৯২৭ – ২১ ফেব্রুয়ারি ১৯৫২) ছিলেন একজন বাংলাদেশী ভাষা আন্দোলন কর্মী যিনি পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসেবে বাংলাকে স্বীকৃতির দাবিতে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে সৃষ্ট বাংলা ভাষা আন্দোলনে ১৯৫২ সালে নিহত হন। বাংলাদেশে তাকে শহীদ হিসেবে গণ্য করা হয়। প্রারম্ভিক জীবন বরকত ১৯২৭ সালের ১৩ জুন (মতান্তরে ১৬ জুন) তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার ভরতপুর অঞ্চলের বাবলা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার ডাক নাম আবাই। তার পিতার নাম শামসুদ্দিন ও মাতার নাম হাসিনা বেগম। বাবলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তিনি তার শিক্ষাজীবন শুরু করেন। আবুল বরকতের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার সূচনা হয় বাবলা বহড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। তিনি ১৯৪৫ সালে তালিবপুর হাইস্কুল থেকে ম্যাট্রিক এবং ১৯৪৭ সালে বহরমপুর কৃষ্ণনাথ কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পাস করেন। ১৯৪৫ সালে তালিবপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক ও ১৯৪৭ সালে বহরমপুর কৃষ্ণনাথ কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করেন। ভারত বিভাগের পর ১৯৪৮ সালে তার পরিবার ঢাকাতে চলে আসে। ১৯৫১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ থেকে দ্বিতীয় শ্রেণিতে চতুর্থ হয়ে স্নাতক সম্পন্ন করেন এবং একই বিভাগে স্নাতকোত্তরে ভর্তি হন। ভাষা আন্দোলন right|thumb|১৯৫২ সালের ভাষা শহীদ আবুল বরকত, রফিক উদ্দিন আহমেদ, আবদুস সালাম, আবদুল জব্বার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী কেন্দ্রে। বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে ১৯৫২-র ২১শে ফেব্রুয়ারি ঢাকা মেডিকেল কলেজের সম্মুখের রাস্তায় ১৪৪ ধারা ভেঙ্গে বিক্ষোভ প্রদর্শনরত ছাত্র-জনতার উপর পুলিশ গুলি চালালে হোস্টেলের ১২ নম্বর শেডের বারান্দায় গুলিবিদ্ধ হন আবুল বরকত। ঢাকা মেডিকেল কলেজের হাসপাতালে জরুরি বিভাগে ভর্তি অবস্থায় রাত আটটার দিকে মৃত্যুবরণ করেন। তার মৃত্যুর পর তার মাতা হাসিনা বেগম ১৯৬৩ সালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার উদ্বোধন করেন। মৃত্যু পরবর্তী right|thumb|ঢাকার আজিমপুর কবরস্থানে আবুল বরকতের কবর। ২১ ফেব্রুয়ারি, ১৯৫২ সালের রাতে আবুল বরকতের আত্মীয়-স্বজনের উপস্থিতিতে একজন ম্যাজিস্ট্রেটের তত্ত্বাবধানে আজিমপুর কবরস্থানে তাকে সমাহিত করা হয়। রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনে আবদুস সালাম, রফিক, জব্বার, শফিউর রহমান প্রমূখ শহীদদের অন্যতম তিনি। সম্মাননা ভাষা আন্দোলনে আত্মত্যাগের জন্য ২০০০ সালে বাংলাদেশ সরকার বরকতকে একুশে পদক প্রদান করে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে তার স্মরণে ভাষা শহীদ আবুল বরকত স্মৃতি জাদুঘর নামে একটি জাদুঘর প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ভাষা শহীদ আবুল বরকত স্মৃতি জাদুঘর ও সংগ্রহশালাটি ২০১২ সালে উন্মুক্ত করা হয় এবং এটি তৈরিতে অর্থ সহায়তা করে ঢাকা সিটি করপোরেশন। তার জীবনী নিয়ে বায়ান্নর মিছিল নামে একটি প্রামাণ্যচিত্র নির্মিত হয়েছে। আরো দেখুন ভাষা আন্দোলন একুশে পদক আবদুস সালাম আবদুল জব্বার রফিকউদ্দিন আহমদ শফিউর রহমান তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ বিষয়শ্রেণী:বাংলা ভাষা শহীদ বিষয়শ্রেণী:১৯২৭-এ জন্ম বিষয়শ্রেণী:ভাষা আন্দোলনে একুশে পদক বিজয়ী বিষয়শ্রেণী:ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী বিষয়শ্রেণী:বাংলা ভাষা আন্দোলনের সক্রিয় কর্মী বিষয়শ্রেণী:১৯৫২-এ মৃত্যু
আবুল বরকত
আলফ্রেড বের্নহার্ড নোবেল (সুয়েডীয় Alfred Nobel আল্‌ফ্রেএদ্‌ বের্ন্‌হাড্‌ নোবেল্‌; জন্মঃ ২১ অক্টোবর, ১৮৩৩ - মৃত্যুঃ ১০ ডিসেম্বর, ১৮৯৬) একজন সুয়েডীয় রসায়নবিদ, প্রকৌশলী, উদ্ভাবক এবং অস্ত্র নির্মাতা। তিনি ডায়নামাইট আবিষ্কার করেন। তিনি ব্যবসায়েও বিশেষ প্রসিদ্ধি অর্জন করেছিলেন। বিখ্যাত ইস্পাত নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোফোর্স এর মালিক ছিলেন অনেকদিন, প্রতিষ্ঠানটিকে এক সময় অন্যতম বৃহৎ অস্ত্র নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেন। তার নামে ৩৫০টি ভিন্ন ভিন্ন পেটেন্ট ছিল যার মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত হচ্ছে ডায়নামাইট। মৃত্যুর আগে উইল করে তিনি তার সুবিশাল অর্থ সম্পত্তি নোবেল ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার জন্য রেখে যান। উইলে আরও বলে যান, নোবেল ইনস্টিটিউটের কাজ হবে প্রতি বছর নোবেল পুরস্কার এর অর্থ প্রদান করা। ব্যক্তিগত জীবন ১৮৩৩ সালে সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে আলফ্রেদ নোবেল জন্মগ্রহণ করেন। সে বছরই তার বাবা ইমানুয়েল নোবেল দেউলিয়া হন। ১৮৩৭ সালে ইমানুয়েল নোবেল স্টকহোমে তার পরিবার রেখে প্রথমে ফিনল্যান্ড এবং পরে রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গে যান ভাগ্যের সন্ধানে। সেন্ট পিটার্সবার্গে একটি মেকানিক্যাল ওয়ার্কশপ প্রতিষ্ঠা করেন। ১৮৪২ সালে পরিবারের সবাইকে সেন্ট পিটার্সবার্গে নিয়ে আসেন ইমানুয়েল। ১৮৭২ সালে আলফ্রেড নোবেলের বাবা ইমানুয়েল মৃত্যুবরণ করেন। ১৮৮৯ সালে নোবেলের মা আন্দ্রিয়েতি মৃত্যুবরণ করেন। তিনিl অবিবাহিত ছিলেন। কর্মজীবন ১৮৫০-১৮৫২ সাল পর্যন্ত আলফ্রেদ নোবেল ফ্রান্সের পারি গিয়ে টি. জুলস পিলৌজ গবেষণাগারে কাজ করেন কিছুদিন। জার্মানি, ইতালি এবং যুক্তরাষ্ট্রেও ভ্রমণ করেন। ১৮৫৩-১৮৫৬ সালে ক্রিমিয়ার যুদ্ধের সূচনা। যুদ্ধের প্রথম দিকে নোবেল কোম্পানি অনেক সমৃদ্ধি অর্জন করে, কিন্তু যুদ্ধ শেষে যখন রুশ সামরিক বাহিনী অর্ডার উঠিয়ে নেয়া তখন দেউলিয়া হয়ে যায়। আলফ্রেদ নোবেল মরিয়া হয়ে নতুন পণ্য উৎপাদনের চেষ্টা করতে থাকেন। তার রসায়ন শিক্ষক নিকোলাই এন. জিনিন তাকে নাইট্রোগ্লিসারিন এর কথা মনে করিয়ে দেন। ১৮৬২ সালে নোবেল নাইট্রোগ্লিসারিন নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করেন। ১৮৬৩ সালে নোবেল তার প্রথম নাইট্রোগ্লিসারিন-জাত পণ্যের পেটেন্ট করেন। একে ইংরেজিতে বলা হচ্ছিল "ব্লাস্টিং অয়েল", এটি এক ধরনের বিস্ফোরক। এরপর "ব্লাস্টিং ক্যাপ" নামক একটি ব্যবস্থা উদ্ভাবন করেন যা নাইট্রোগ্লিসারিন বিস্ফোরণের ট্রিগার হিসেবে কাজ করে। এ সময়ই তিনি স্টকহোমে চলে আসেন এবং এখানেই গবেষণা চালিয়ে যান। ১৮৬৪ সালে স্টকহোমের হেলেনেবোর্গে নাইট্রোগ্লিসারিন প্রস্তুতির সময় বিস্ফোরণে আলফ্রেড নোবেলের ভাই এমিল মারা যায়। নোবেল পরীক্ষা চালিয়ে যান এবং স্টকহোমে "নাইট্রোগ্লিসারিন এবি" নামক একটি প্রতিষ্ঠান তৈরি করেন। ১৮৬৫ সালে নোবেল তার ব্লাস্টিং ক্যাপ নকশাটির আরও উন্নতি সাধন করেন। সুইডের থেকে জার্মানি চলে এসে হামবুর্গ শহরের নিকটে ক্রুমেল নামক স্থানে "আলফ্রেড নোবেল অ্যান্ড কোম্পানি" কারখানাটি নির্মাণ করেন। ১৮৬৬ সালে নোবেল যুক্তরাষ্ট্রে "ইউনাইটডে স্টেটস ব্লাস্টিং অয়েল কোম্পানি" প্রতিষ্ঠা করেন। একটি ভয়াবহ বিস্ফোরণে ক্রুমেলের কারখানাটি ধ্বংস হয়ে যায়। এলবে নদীতে একটি ভেলা ভাসিয়ে তাতে নোবেল নাইট্রোগ্লিসারিন বিস্ফোরককে আরও নিরাপদ করার চেষ্টা চালিয়ে যান। এ সময়ই তিনি বুঝতে পারেন, নাইট্রোগ্লিসারিনের সাথে কাইসেলগুর (সিলিকনের মত অধঃক্ষেপ, ডায়াটোমেশাস মাটি হিসেবেও পরিচিত) মেশালে তা স্থিত হয়। এই নতুন মিশ্র বিস্ফোরকের নাম দেন ডায়নামাইট। ১৮৬৭ সালে ডায়নামাইটের জন্য পেটেন্ট অর্জন করেন। ১৮৭১ সালে নোবেল স্কটল্যান্ডের আর্ডিয়ারে "ব্রিটিশ ডায়নামাইট কোম্পানি" প্রতিষ্ঠা করেন। ১৮৭৭ সালে এই কোম্পানির নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছিল "নোবেল'স এক্সপ্লোসিভ কোম্পানি"। ১৮৭৩ সালে ৪০ বছর বয়সে নোবেল প্রভূত সম্পত্তির অধিকারী হন। পারি (প্যারিস) গিয়ে মালাকফ এভিনিউ এ থিতু হন। একই বছর আর্ডিয়ারের কারখানায় নাইট্রোগ্লিসারিন ও ডায়নামাইট উৎপাদন শুরু হয়। ১৮৭৫ সালে নোবেল "ব্লাস্টিং গিলাটিন" উদ্ভাবন করে পরের বছর পেটেন্ট করেন। ফ্রান্সের পারিতে "সোসাইটি জেনারেলে পৌর লা ফেব্রিকেশন দে লা ডাইনামাইট" প্রতিষ্ঠা করেন। ১৮৭৬ সালে জার্মানির হামবুর্গে আলফ্রেড নোবেল অ্যান্ড কোম্পানির নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় ডাইনামাইটাকটাইঙ্গেসেলশাফট (ডিএজি)। নোবেল একজন ব্যক্তিগত সচিব ও গৃহপরিচারিকা খুঁজতে শুরু করেন। এ সময় তার সাথে বার্থা কিনসে ভন চিনিক আন্ড টেত্তাউ-এর পরিচয় হয় এবং তাকেই ব্যক্তিগত সচিব হিসেবে পছন্দ করেন। কিন্তু কিছুদিন পরেই তিনি নোবেলের চাকরি ছেড়ে দিয়ে শান্তি আন্দোলন শুরু করেন। এই নারীকেই আমরা বের্থা ফন সুটনার নামে চিনি যিনি শান্তিতে নোবেল পুরস্কার লাভ করেছিলেন। ১৮৮০ সালে নোবেলের ইতালীয় এবং সুইজারল্যান্ডীয় কোম্পানি একত্রিত করে "ডায়নামাইট নোবেল" গঠন করা হয়। ১৮৮১ সালে পারি-র বাইরে সেভরানে নোবেল জমি ও একটি গবেষণাগার ক্রয় করেন। ১৮৮৫ সালে ডিএজি এবং জার্মানির আরও কিছু ডায়নামাইট কোম্পানি একত্রিত করে "জার্মান ইউনিয়ন" প্রতিষ্ঠা করা হয়। ১৮৮৬ সালে DAG এবং নোবেল'স এক্সপ্লোসিভ কোম্পানি একত্রিত করে যুক্তরাজ্যের লন্ডনে "নোবেল-ডায়নামাইট ট্রাস্ট কোম্পানি" প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৮৮৭ - বিস্ফোরক পাউডার "ব্যালিসটিট" উদ্ভাবনের জন্য ফ্রান্সে পেটেন্ট লাভ করেন নোবেল। ১৮৯১ সালে ব্যালিস্টাইট নিয়ে ফরাসি সরকারের সাথে বিতর্কের পর আলফ্রেদ নোবেল পারি ত্যাগ করে ইতালির সান রেমো-তে বসবাস শুরু করেন। ১৮৯৩ সালে নোবেল র‍েগণার সোলম্যান-কে নিয়োগ করেন যাকে পরবর্তীতে তিনি তার উইল এবং টেস্টামেন্ট এর প্রয়োগকর্তা হিসেবে আখ্যায়িত করেছিলেন। ১৮৯৪ সালে আলফ্রেড নোবেল সুইডেনের কার্লস্কোগাতে একটি ছোট মেশিন-ওয়ার্কস এবং একটি বাড়ি ক্রয় করেন।১৮৯৫ - পারি-র সুয়েডীয়-নরওয়েজীয় ক্লাবে নোবেলের তৃতীয় এবং শেষ উইল স্বাক্ষরিত হয়। মহাপ্রয়াণ ১৮৯৬ - ১০ ডিসেম্বর নোবেল তার সান রেমো-র বাড়িতে মৃত্যুবরণ করেন। আরো দেখুন নোবেল পুরস্কার পুরস্কার তথ্যসূত্র আরও পড়ুন Nobel, Alfred Bernhard in the 1911 Encyclopædia Britannica Schück, H, and Sohlman, R., (1929). The Life of Alfred Nobel. London: William Heineman Ltd. Alfred Nobel US Patent No 78,317, dated 26 May 1868 Evlanoff, M. and Fluor, M. Alfred Nobel – The Loneliest Millionaire. Los Angeles, Ward Ritchie Press, 1969. Sohlman, R. The Legacy of Alfred Nobel, transl. Schubert E. London: The Bodley Head, 1983 (Swedish original, Ett Testamente, published in 1950). Jorpes, J.E. Alfred Nobel. British Medical Journal, Jan.3, 1959, 1(5113): 1–6. Sri Kantha, S. Alfred Nobel's unusual creativity; an analysis. Medical Hypotheses, April 1999; 53(4): 338–344. Sri Kantha, S. Could nitroglycerine poisoning be the cause of Alfred Nobel's anginal pains and premature death? Medical Hypotheses, 1997; 49: 303–306. বহিঃসংযোগ Alfred Nobel – Man behind the Prizes Biography at the Norwegian Nobel Institute Nobelprize.org "The Nobels in Baku" in Azerbaijan International, Vol 10.2 (Summer 2002), 56–59. The Nobel Prize in Postage Stamps A German branch or followup (German) বিষয়শ্রেণী:সুয়েডীয় বিজ্ঞানী বিষয়শ্রেণী:সুয়েডীয় প্রকৌশলী বিষয়শ্রেণী:১৮৩৩-এ জন্ম বিষয়শ্রেণী:১৮৯৬-এ মৃত্যু বিষয়শ্রেণী:নোবেল পরিবার বিষয়শ্রেণী:নোবেল পুরস্কার
আলফ্রেদ নোবেল
জাগ্রত চৌরঙ্গী মুক্তিযুদ্ধের মহান শহীদদের অসামান্য আত্মত্যাগের স্মরণে নির্মিত ভাস্কর্য যা ১৯৭৩ সালে ভাস্কর আবদুর রাজ্জাক নির্মাণ করেন। মুক্তিযুদ্ধের প্রেরণায় নির্মিত এটিই প্রথম ভাস্কর্য। অবস্থান এর বিশিষ্টিতা হল ডান হাতে গ্রেনেড, বাঁ হাতে রাইফেল। লুঙ্গি পরা, খালি গা, খালি পা আর পেশিবহুল এ ভাস্কর্যটি এর অবস্থান গাজীপুর জেলার জয়দেবপুর চৌরাস্তার ঠিক মাঝখানে সড়কদ্বীপে অবস্থিত। আকার ভিত বা বেদিসহ জাগ্রত চৌরঙ্গীর উচ্চতা ৪২ ফুট ২ ইঞ্চি। ২৪ ফুট ৫ ইঞ্চি ভিত বা বেদির ওপর মূল ভাস্কর্যের ডান হাতে গ্রেনেড ও বাঁ হাতে রাইফেল। কংক্রিট, গ্রে সিমেন্ট, হোয়াইট সিমেন্ট ইত্যাদি দিয়ে ঢালাই করে নির্মিত এ ভাস্কর্যটিতে ১৬ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের ৩ নম্বর সেক্টরের ১০০ জন ও ১১ নম্বর সেক্টরের ১০৭ জন শহীদ সৈনিক ও মুক্তিযোদ্ধাদের নাম উৎকীর্ণ করা আছে। তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ভাস্কর্য বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশের ভাস্কর্য বিষয়শ্রেণী:১৯৭৩-এ নির্মিত
জাগ্রত চৌরঙ্গী
পুনর্নির্দেশ নিকোলাউস কোপার্নিকাস
নিকলাউস কপের্নিকুস
প্লুটোনিয়াম একটি তেজস্ক্রিয় রাসায়নিক উপাদান, যার প্রতীক Pu এবং পারমাণবিক সংখ্যা ৯৪। এটি রূপালি-ধূসর বর্ণের একটি অ্যাক্টিনাইড ধাতু। এই উপাদানটি সাধারণত ছয়টি অ্যালোট্রোপ এবং চারটি জারণ অবস্থা প্রদর্শন করে। এটা কার্বন, হ্যালোজেন, নাইট্রোজেন, সিলিকন এবং হাইড্রোজেনের সঙ্গে বিক্রিয়া করে। এটি তেজস্ক্রিয় পদার্থ এবং হাড়ে জমা হতে পারে। প্লুটোনিয়ামের এসব বৈশিষ্ট্য একে নিয়ন্ত্রণ করাকে বিপজ্জনক করে তোলে। আবিষ্কার সাধারণ বৈশিষ্ট্য আইসোটোপ যৌগসমূহ ব্যবহার 400px নিবন্ধের উৎস উচ্চ মাধ্যমিক রসায়ন প্রথম পত্র - প্রফেসর মো. মহির উদ্দিন, লায়লা মুসতারিন, ড. তানভীর মুসলিম, হাছিনা বেগম। উচ্চ মাধ্যমিক রসায়ন প্রথম পত্র - ড. সরোজ কান্তি সিংহ হাজারী, হারাধন নাগ। ব্রিটানিকা বিশ্বকোষ (Encyclopedia Britannica) তথ্যসূত্র আরও দেখুন মৌলিক পদার্থ পর্যায় সারণী ট্রান্সইউরেনিয়াম মৌল তেজস্ক্রিয়তা বিষয়শ্রেণী:মৌলিক পদার্থ বিষয়শ্রেণী:অ্যাক্টিনাইড
প্লুটোনিয়াম
আল্লাহ () একটি আরবি শব্দ। ইসলাম ধর্মানুযায়ী যার দ্বারা "বিশ্বজগতের একমাত্র স্রষ্টা এবং প্রতিপালকের নাম" বোঝায়। "আল্লাহ" শব্দটি প্রধানত মুসলমানরাই ব্যবহার করে থাকেন। মূলত “আল্লাহ্” নামটি ইসলাম ধর্মে বিশ্বজগতের সৃষ্টিকর্তাকে বোঝানোর জন্য সাধারণভাবে বহুল-ব্যবহৃত নাম; এটি ছাড়াও মুসলমানরা তাঁকে আরো কিছু নামে সম্বোধন করে থাকেন। মুসলমানদের ধর্মগ্রন্থ কোরআনে আল্লাহর নিরানব্বইটি নামের কথা উল্লেখ আছে; তার মধ্যে কয়েকটির বাংলা অর্থ হল: সৃষ্টিকর্তা, ক্ষমাকারী, দয়ালু, অতিদয়ালু, বিচারদিনের মালিক, বিচারক, খাদ্যদাতা, অতি সহনশীল, বিশ্বজগতের মালিক প্রভৃতি। থাম্ব|ডান|190px|আবরি ক্যালিগ্রাফিতে 'আল্লাহ' শব্দটি তবে আরবের খ্রিস্টানরাও প্রাচীনকাল থেকে "আল্লাহ" শব্দটি ব্যবহার করে আসছেন। বাহাই, মাল্টাবাসী, মিজরাহী ইহুদি এবং শিখ সম্প্রদায়ও "আল্লাহ" শব্দ ব্যবহার করে থাকেন। ইসলামের নবী মুহাম্মদ বলেছেন যে, আল্লাহ তা'আলার মোট ৯৯টি গুনবাচক নাম রয়েছে। আল্লাহ তা'আলা তোমাদেরকে এ সকল নামের মাধ্যমে তার নিকট দোয়া প্রার্থনা করতে আদেশ করেছেন। যে ব্যক্তি আল্লাহ্‌র এ গুণবাচক ৯৯টি নাম মুখস্থ করে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। অন্য এক বর্ণনায় আছে, 'যে ব্যক্তি ৯৯টি গুণবাচক নাম মুখস্থ করবে এবং সর্বদা পড়বে, সে অবশ্যই বেহেশতে প্রবেশ করবে।' ---সহীহ মুসলিম শব্দের ইতিহাস thumb|right|240px| আরবি ভাষায় লিখিত আল্লাহ নামের অংশসমূহ : ১. আলিফ২. হামযাতুল ওয়াসল (همزة وصل‎‎)৩. লাম৪. লাম৫. তাশদীদ (شدة‎) ৬. খাড়া আলিফ (ألف خنجرية‎‎) ৭. হা' "আল্লাহ" শব্দটি আরবি "আল" (বাংলায় যার অর্থ সুনির্দিষ্ট বা একমাত্র) এবং "ইলাহ" (বাংলায় যার অর্থ উপাস্য বা মাবুদ) শব্দদ্বয়ের সম্মিলিত রূপ, বাংলায় যার অর্থ দাড়ায় "একমাত্র মাবুদ বা ইলাহ" বা "আল্লাহ"। একই শব্দমূল-বিশিষ্ট শব্দ অন্যান্য সেমিটিক ভাষাতেও পাওয়া যায়। উদাহরণস্বরূপ, বলা যায়, হিব্রু এবং আরামাইক ভাষার কথা। প্রাচীন হিব্রু ভাষায় শব্দটি বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই বহুবচন এলোহিম (কিন্তু অর্থের দিক দিয়ে একবচন) হিসেবে ব্যবহার হয়েছে। আর আরামাইক ভাষায় শব্দটির রূপ এলাহা বা আলাহা । কিন্তু এই শব্দটির অর্থ এই সব ভাষাতেই সমার্থক, "একক ঈশ্বর"। গুরু গ্রন্থ সাহিব অর্থাৎ শিখদের ধর্মগ্রন্থে "আল্লাহ" () শব্দটি ৩৭ বারের চেয়ে বেশি বার ব্যবহৃত হয়েছে। ইসলাম-পূর্ব আরবেও আল্লাহ নামের ব্যবহার খুঁজে পাওয়া যায়। কিন্তু তা কেবল সৃষ্টিকারী বুঝাতে ব্যবহার করা হতো। আল্লাহ সম্পর্কে বিভিন্ন ধর্মে বিভিন্ন ধারণা থাকলেও পৃথিবীর প্রধান তিনটি ধর্মের অনুসারীদের অর্থাৎ মুসলমান, ইহুদী ও খ্রিস্টানদের কাছে আল্লাহ একমাত্র সৃষ্টিকর্তা, অদ্বিতীয়, একমাত্র অভিভাবক এবং একমাত্র আরাধনাযোগ্য, একই সঙ্গে আদি-অন্তহীন, অবিনশ্বর এবং সকল কিছুর ওপর ক্ষমতাবান। ইসলাম-পূর্ব আরবে পৌত্তলিক আরবরা একশ্বরবাদী ছিল না; তারা আল্লাহকে একক ও অদ্বিতীয় মনে করতো না, বরং তার সাথে সঙ্গী-সাথী এবং পুত্র-কন্যার ধারণা সংযুক্ত করেছিলো, যা ইসলামী যুগে সমূলে উৎপাটন করা হয়। ইসলামে আল্লাহ শব্দটি দ্বারা এক, অদ্বিতীয় ও অবিনশ্বর ঈশ্বরের দিকে ইঙ্গিত করা হয় এবং সমস্ত স্বর্গীয় গুণবাচক নামকে সেই একক সত্তার নাম বলে সংজ্ঞায়িত করা হয়। ইসলামী ভাষ্যনুযায়ী, আল্লাহ এক, অদ্বিতীয়, সমস্ত-জগৎের-সৃষ্টিকর্তা, সর্বত্র বিরাজমান, একক অধীশ্বর। এই কারণে বর্তমান-যুগের আরব-খ্রিস্টানেরা মুসলিমদের থেকে পার্থক্য সৃষ্টি করতে (, "God the Father" (অর্থাৎ, ঈশ্বর-পিতা)) শব্দ ব্যবহার করে। এমনভাবে কুরআনে বর্ণিত আল্লাহ শব্দার্থ, এবং হিব্রু বাইবেলে বর্ণিত আল্লাহ শব্দের অর্থে মিল এবং অমিল দুই-ই আছে। ইউনিকোডে আরবি আল্লাহ শব্দের জন্য একটি বিশেষ কোড, = U+FDF2, সংরক্ষিত রাখা আছে। অনেক আরবি ফন্টেও শব্দটিকে একটি অখণ্ড অক্ষর হিসেবে প্রণয়ন করা হয়েছে। thumb|right thumb|তুরস্কের, ইস্তানবুলের, হাগিয়া সফিয়ায় একটি মেডেলে আল্লাহর নাম দেখা যাচ্ছে thumb|পুরাতন মসজিদ, তুরস্ক। আরবিতে ব্যবহার ইসলাম-পূর্ব আরব ইসলাম-পূর্ব আরবে, মক্কাবাসী পৌত্তলিকরা আল্লাহকে সৃষ্টিকর্তা দেবতা হিসেবে ধারণা করতো, এবং খুব সম্ভবতঃ সবচেয়ে শক্তিশালী দেবতা হিসেবে। কিন্তু একক এবং অদ্বিতীয় ঐশ্বরিক শক্তি হিসেবে নয়। বরং পৃথিবী-সৃষ্টিকারী এবং বৃষ্টি-দানকারী সত্তা হিসেবে। আল্লাহর প্রকৃত স্বরূপ তাদের ধারণায় খুব পরিষ্কার ছিল না। তাদের ধারণা ছিলো যে, আল্লাহর আরো সঙ্গী-সাথী আছে, যাদেরকে তারা অধীনস্থ দেবতা হিসেবে পূজা করতো। তারা আরো ধারণা করতো যে, আল্লাহর সঙ্গে জ্বিনজাতির আত্মীয়তা-ধরনের কোনো সম্পর্ক আছে তারা আল্লাহর পুত্র বলেও সাব্যস্থ করেছিলো এবং তৎকালীন আঞ্চলিক দেবতা লা'ত, উজ্জা, মানাতকে তারা আল্লাহর কন্যা সাব্যস্থ করেছিলো । খুব সম্ভবতঃ, মক্কার আরবরা আল্লাহকে ফেরেশতা বা স্বর্গীয় দূত হিসেবে ধারণা করতো। যার কারণে বিপদগ্রস্ত অবস্থায় তারা আল্লাহ ডাকতো। এমনকি নিজেদের নামকরণেও তারা আব্দুল্লাহ(অর্থাৎ, আল্লাহর বান্দা বা গোলাম) শব্দটি ব্যবহার করতো। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, মুহাম্মাদের পিতার নাম ছিল (عبدالله ) আব্দুল্লাহ'''। ইসলাম ইসলামিক ভাষ্যমতে, আল্লাহ হলো একমাত্র প্রশংসাযোগ্য ও সর্বশক্তিমান সত্তার প্রকৃত নাম, এবং তার ইচ্ছা এবং আদেশসমূহের প্রতি একনিষ্ঠ আনুগত্য ইসলামী ধর্মবিশ্বাসের মূলভিত্তি হিসেবে বিবেচিত হয়। "তিনি এক এবং অদ্বিতীয় , সমগ্র বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের একক সৃষ্টিকর্তা, এবং সমগ্র মানবজাতির বিচারক"Britannica Concise Encyclopedia, Allah "তিনি একক () এবং অদ্বিতীয় (), পরম দয়ালু এবং সর্বত্র বিরাজমান" কুরআনের "আল্লাহর বাস্তব সত্তা, তার অপরিমেয় রহস্য, বিভিন্ন নাম, এবং সৃষ্টিজগতের জন্য তিনি যা করেন" তার ঘোষণা দেয়। ইসলামিক ভাষ্যমতে, আল্লাহর গুণবাচক অনেক নাম রয়েছে, যার সংখ্যা কুরআন ও হাদিস মিলিয়ে একশতেরও অধিক, যাদের কে একত্রে আসমাউল হুসনা (অর্থাৎ, সুন্দরতম নামসমূহ) বলা হয়। তন্মধ্যে, একটি প্রসিদ্ধ হাদিস অনুযায়ী, আল্লাহর ৯৯ টি নামের একটি বিশেষ তালিকা আছে, ( lit. meaning: "The best names") যার একেকটি আল্লাহর এক-একটি গুন বা বৈশিষ্ট্যকে প্রকাশ করে। এবং এই সব কয়টি নামই একক সত্তা আল্লাহর দিকে ইঙ্গিত করে, যা কিনা তার সর্বপ্রধান নাম। এই সমস্ত নামসমূহের মাঝে, সবচেয়ে পরিচিত এবং বহুল ব্যবহৃত হলো, "পরম দয়ালু" (আর-রহমান), "অতিশয় মেহেরবান" () এবং "অতিশয় ক্ষমাশীল’’ (গাফুর) । মুসলিমগন ভবিষ্যতের কোনো পরিকল্পিত কাজের ব্যাপারে আলোচনা করলে তার আগে বা পরে ইনশাল্লাহ (অর্থাৎ "যদি আল্লাহ ইচ্ছা করেন") কথাটি ব্যবহার করেন। ইসলামিক পরিভাষায়, যে কোন কাজ শুরু করার পূর্বে একজন মুসলিমের বিসমিল্লাহ (অর্থাৎ "আল্লাহর নামে(শুরু করছি)") বলে শুরু করা উচিত, যাতে করে সেই কাজটা আল্লাহ পছন্দ করেন, এবং তাতে সাহায্য করেন। এগুলো ছাড়াও সবসময় আল্লাহকে অধিক স্মরণ করার উপায় হিসেবে মুসলিমদের মধ্যে আল্লাহর প্রশংসামূলক আরও কিছু বাক্য বহুল প্রচলিত, তন্মধ্যে "সুবহানাল্লাহ" (সমস্ত পবিত্রতা আল্লাহর), আলহামদুলিল্লাহ(সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর), প্রধান কালেমা লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ (আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই) এবং আল্লাহু আকবার (আল্লাহ সুমহান)। সূফী সাধকদের মধ্যে একটি বহুল-প্রচলিত সাধনা হলো, আল্লাহর যিকর, যেটায় সূফীরা নিজেদের শ্বাস-প্রশ্বাস কে নিয়ন্ত্রণের সাথে সাথে মনোযোগ সহকারে আল্লাহ শব্দ অথবা তার কোনো এক বা একাধিক গুণবাচক নাম একাধারে অজস্রবার পাঠ করতে থাকে। কোনো কোনো বিশেষজ্ঞের মতে, "আল-কুরআন জোরালোভাবে ঘোষণা করেছে, মুসলিমরা বিশ্বাস করে, এবং ঐতিহাসিকরা নিশ্চিত করেছেন যে, মুহাম্মাদ এবং তাঁর অনুসারীরা সেই একই উপাসনা করতেন, যার উপাসনা ইহুদিরা করতো ()। এবং কুরআনের আল্লাহ এবং ইব্রাহিমের আল্লাহ এক এবং অভিন্ন"।। ইসলামিক ভাষ্যমতে আল্লাহর প্রধান কয়েকটি নাম খ্রিস্টধর্ম আসিরীয় খ্রিস্টানদের ভাষায়, ঈশ্বর বা সৃষ্টিকর্তার জন্য আরামাইক শব্দ হলো , বা :en:Alaha। খ্রিস্টান এবং ইহুদিরা সহ আব্রাহামীয় সকল ধর্মের আরবি-ভাষী লোকই, ঈশ্বরকে বুঝাতে আল্লাহ শব্দ ব্যবহার করে থাকে। বর্তমান যুগের আরবি-ভাষী খ্রিস্টানদের ব্যবহারের জন্য ঈশ্বরকে ইঙ্গিত করতে আল্লাহ ব্যতীত উপযোগী অন্য কোনো শব্দই নেই। (এমনকি আরবি-বংশোদ্ভূত মাল্টাবাসী, যাদের অধিকাংশই রোমান ক্যাথলিক, ঈশ্বরকে বুঝাতে Alla(আল্লা) শব্দ ব্যবহার করে)। তবে আরব খ্রিস্টানরা অনেক সময়ই তাদের ত্রিত্ববাদ অনুযায়ী সৃষ্টিকর্তা বুঝাতে () অর্থাৎ, পিতা ঈশ্বর, ঈসা বা জিসাসকে বুঝাতে () অর্থাৎ, পুত্র ঈশ্বর, এবং জিবরাঈল বা গেব্রিলকে বুঝাতে () অর্থাৎ,পবিত্র আত্মা কথাগুলো ব্যবহার করে। (খ্রিস্টান ধর্ম-বিশ্বাস অনুযায়ী ঈশ্বরের ধারণার বিস্তারিতের জন্য দেখুন খ্রিস্টান ধর্মে ঈশ্বরের ধারণা)। লেখার সময় আরব খ্রিস্টানদের মধ্যে দুই ধরনের প্রচলন পাওয়া যায়, মুসলিমদের থেকে গৃহীত বিসমিল্লাহ এবং অষ্টম-শতক থেকে নিজেদের ত্রিত্ববাদই ধারণার বিসমিল্লাহ। মুসলিমদের থেকে গৃহীত বিসমিল্লাহর অর্থ করা হয়, আল্লাহর নামে, যিনি পরম দয়ালু এবং অতিশয় মেহেরবান। অপরপক্ষে, ত্রিত্ববাদই বিসমিল্লাহর অর্থ করা হয়, এক ঈশ্বরের নামে যিনি পিতা, পুত্র এবং পবিত্র আত্মা। তবে সিরিয়ান, ল্যাটিন বা গ্রিক প্রার্থনার মধ্যে এক কথাটি যুক্ত করা হয় না। এই এক কথাটি যুক্ত করা হয় ত্রিত্ববাদের এক ঈশ্বর ধারণাকে ফুটিয়ে তোলার জন্য এবং কিছুটা মুসলিমদের নিকট গ্রহণযোগ্য রূপ দেয়ার জন্য। কারো মতে, ইসলাম-পূর্ব আরব-এ কিছু কিছু আরব খ্রিস্টান সৃষ্টিকর্তা হিসেবে আল্লাহর সম্মানে কাবায় যেত, তবে তৎকালীন কাবা ছিলো মূর্তি পূজারীদের প্রার্থনাস্থল। ইহুদীধর্ম যেহেতু আরবি এবং হিব্রু খুবই ঘনিষ্ঠ সম্পর্কযুক্ত সেমিটিক ভাষা, এটি বহুল প্রচলিত মতামত যে, আল্লাহ(আরবি শব্দমূল: ইলাহ) এবং বাইবেলে বর্ণিত ইলোহিম এর আদিশব্দ একই। ইহুদি ধর্মগ্রন্থে, ইলোহিম শব্দকে ঈশ্বরের (ইহুদি মতানুযায়ী যাকে ইয়াওহে বা জেহোবা বলা হয়) একটি বর্ণনামূলক নাম হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। আবার একই সাথে শব্দটিকে সময়ের বিবর্তনে এক সময়ে পৌত্তলিকদের দেবতাদের ক্ষেত্রেও ব্যবহার করা হয়েছে। অন্যান্য ভাষায় ব্যবহার ইংরেজি ও অন্যান্য ইউরোপিয়ান ভাষায় ইংরেজি ভাষায় "আল্লাহ" শব্দের ব্যবহার খুব সম্ভবত ১৯ শতকে শুরু হওয়া তুলনামূলক ধর্মালোচনার গবেষণার প্রভাবে যুক্ত হয়েছিল। উদাহরণস্বরূপ, টমাস কার্লাইল (১৮৪০) কখনও কখনও আল্লাহ শব্দটিকে ব্যবহার করেছেন, কিন্তু তা গড থেকে আলাদা কিছু হিসেবে নয়। তবে তিনি তার রচিত (১৯৩৪ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত) মুহাম্মাদের জীবনতে সর্বদা আল্লাহ শব্দটি ব্যবহার করেছেন, যদিও তার বর্ণনা থেকে প্রতীয়মান হয়েছে যে, মুহাম্মাদের বর্ণিত আল্লাহ ইহুদি এবং খ্রিস্টানদের বর্ণিত ঈশ্বরের থেকে ভিন্ন। কিছু কিছু ভাষা আছে যেগুলোতে ঈশ্বরকে বুঝাতে আল্লাহ শব্দটিকে ব্যবহার করা হয় না, কিন্তু কিছু কিছু প্রচলিত কথার মধ্যে তা পাওয়া যায়। উদাহরণস্বরূপ, আন্দালুস-এ সুদীর্ঘ মুসলিম শাসনামলের কারণে স্প্যানিশ ভাষায় ojalá এবং পর্তুগীজ ভাষায় oxalá শব্দগুলো পাওয়া যায়, যেগুলো মূলতঃ আরবি (إن شاء الله)(ইনশাল্লাহ) কথা থেকে উদ্ভূত। এই কথাটির আক্ষরিক অর্থ যদি আল্লাহ ইচ্ছা করেন (অনেকটাই আশা করি বুঝাতে)। জার্মান কবি সিগফ্রিড মালমান সর্বকর্তৃত্ত্বময় ঐশ্বরিক শক্তিকে নিয়ে লেখা কবিতার শিরোনাম হিসেবে আল্লাহ শব্দ ব্যবহার করেছেন, কিন্তু তিনি কতটুকু "ইসলামিক" আল্লাহকে বুঝাতে চেয়েছেন তা পুরোপুরি পরিষ্কার নয়। মুসলিমরা সাধারণত ইংরেজিতে Allah শব্দটিকে সরাসরি ব্যবহার করে থাকেন। ইন্দোনেশিয়ান এবং মালয়শিয়ান ভাষায় অন্যান্য ভাষা এবং বর্ণমালায় মুদ্রণবিদ্যা ইউনিকোড আরবি ভাষার ইউনিকোড সাইনে আল্লাহ শব্দের কোড হল U+FDF2 এবং ইরানের ফারসি ভাষার কোড হল U+262B। আল্লাহর বৈশিষ্ট্যসমূহ ইসলাম ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে আল্লাহর কিছু বৈশিষ্ট্য হলো: আল্লাহর কোন অংশীদার নেই, কোন সমকক্ষ নেই এবং কোন প্রতিদ্বন্দ্বী নেই; তার কোন সন্তান বা স্ত্রী নেই এবং তিনি কারও সন্তান নন; তার উপাসনা অথবা সহায়তা প্রার্থনার জন্যে কাউকে বা কিছুর মধ্যস্থতার প্রয়োজন নাই; তার কাউকে উপাসনার প্রয়োজন হয় না; তিনি সার্বভৌম অর্থাৎ কারো নিকট জবাবদিহি করেন না; তিনি কোন ব্যক্তি বা জিনিসের উপর নির্ভরশীল নন, বরং সকলকিছু তার উপর নির্ভরশীল; তিনি কারো সহায়তা ছাড়াই সবকিছু সৃষ্টি ও নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন; কিছুই তার উপরে বা সঙ্গে তুলনীয় নয়; বিদ্যমান কিছুই নেই যা সম্পূর্ণভাবে আল্লাহর পরাধীন নয়; কেউ প্রতিরোধ করতে পারেন না, যা আল্লাহ প্রদান করে, আর কেউ প্রদান করতে পারেনা যা তিনি প্রতিরোধ করে; শুধুমাত্র আল্লাহই কারো উপকার বা ক্ষতি করতে পারে, এই ক্ষমতা অন্য কেউ রাখে না; তার কোনও অভাব নেই, তিনি কারও মুখাপেক্ষী নন; নিদ্রা, তন্দ্রা ও ক্লান্তি আল্লাহকে স্পর্শ করে না; তার অনুরূপ কেউ নেই আরও দেখুন ঈশ্বর আসমাউল হুসনা বিশ্বাস (তাওহীদ) যিকর ইসলামের পঞ্চস্তম্ভ কাবা রাসূল নবী ইসলামের নবি ও রাসুল তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ এক আল্লাহ জিন্দাবাদ - কাজী নজরুল ইসলাম Names of Allah with Meaning on Website, Flash, and Mobile Phone Software Concept of God (Allah) in Islam The Concept of Allāh According to the Qur'an by Abdul Mannan Omar Allah, the Unique Name of God Typography Arabic Fonts and Mac OS X Programs for Arabic in Mac OS X বিষয়শ্রেণী:ইসলামী পরিভাষা বিষয়শ্রেণী:আল্লাহ বিষয়শ্রেণী:ঈশ্বর
আল্লাহ
চর্যাপদ গ্রন্থে ডোম্বী পার একটি পদ গৃহীত হয়েছে। ডঃ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ্‌র মতে ডোম্বী পা ত্রিপুরা বা মগধের রাজা ছিলেন। তার গুরু ছিলেন বিরূপ পা ডোম্বী পার জীবৎকাল ৭৯০ থেকে ৮৯০ খ্রিস্টাব্দ। রাহুল সাংকৃত্যায়নের মতে ডোম্বী পার জীবৎকালের শেষ সীমা দেবপালের রাজত্বকালে (৮০৬-৪৯ খ্রিষ্টাব্দ) ৮৪০ খ্রিষ্টাব্দ অবধি। তিনি বর্ণে ক্ষত্রিয়, নিবাস মগধ এবং চুরাশি জন মহাসিদ্ধের একজন। আরো পড়ুন বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস, মাহবুবুল আলম। বিষয়শ্রেণী:চর্যাপদের কবি বিষয়শ্রেণী:ভারতীয় বৌদ্ধ বিষয়শ্রেণী:মহাসিদ্ধ
ডোম্বী পা
এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকা (, লাতিন ভাষায় ব্রিটিশ বিশ্বকোষ) "এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকা, ইনকর্পোরেটেড" কর্তৃক প্রকাশিত একটি সাধারণ জ্ঞানের ইংরেজি বিশ্বকোষ। প্রায় নিয়মিত ১০০ জন সম্পাদক ও প্রায় ৪০০০ অবদানকারীর মাধ্যমে এটি লিখিত ও সংশোধিত হয়। অনুবাদকারীদের মধ্যে এখন পর্যন্ত ১১০ জন নোবেল বিজয়ী এবং ৫ জন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ছিলেন। একে ইংরেজি ভাষার সবচেয়ে পাণ্ডিত্যপূর্ণ বিশ্বকোষগুলোর একটি মনে করা হয়। ব্রিটানিকা ইংরেজি ভাষায় এখনও নিয়মিত প্রকাশিত বিশ্বকোষগুলোর মধ্যে সবচেয়ে প্রাচীন। ১৭৬৮ থেকে ১৭৭১ সালের মধ্যে স্কটল্যান্ডের এডিনবরা থেকে তিনটি আলাদা খণ্ডে এটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল। এরপর দিনদিন আকার বাড়তে থাকে। দ্বিতীয় সংস্কণ প্রকাশিত হয় ১০ খণ্ডে, এবং ১৮০১ থেকে ১৮১০ সালের মধ্যে প্রকাশিত চতুর্থ সংস্করণে ছিল ২০টি খণ্ড। পাণ্ডিত্যপূর্ণ নিবন্ধের কারণে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি লেখক সমাজের অন্তর্ভুক্ত হন, এবং ৯ম (১৮৭৫-৮৯) ও ১১তম (১৯১১) সংস্করণ বিশ্বকোষের পাণ্ডিত্য ও রচনাশৈলীর ইতিহাসে যুগান্তকারী অর্জন বলে স্বীকৃত। একাদশ সংস্করণ প্রকাশ এবং একটি মার্কিন কোম্পানি কর্তৃক ব্রিটানিকা ইনকর্পোরেটেড-এর অধিগ্রহণের পর আমেরিকান পাঠকদের জনপ্রিয়তা অর্জনের জন্য বিশ্বকোষটির নিবন্ধের আকার ছোট করে বিষয় সংখ্যা আরও বাড়ানো হয়। ১৯৩৩ সালে ব্রিটানিকা বিশ্বকোষ রচনার ইতিহাসে প্রথমবারের মত তাদের ভুক্তিগুলো নিয়মিত পুনর্ম্যল্যায়ন ও সংশোধন করা শুরু করে। ২০১২ সালের মার্চে ব্রিটানিকা ইনকর্পোরেটেড ঘোষণা করে, তারা আর কাগজে মুদ্রিত সংস্করণ প্রকাশ করবে না, বরং কেবল অনলাইন সংস্করণের (এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকা অনলাইন) দিকে নজর দেবে। এর সর্বশেষ কাগজে মুদ্রিত সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছিল ২০১০ সালে, ৩২ খণ্ডে। ১৫তম অর্থাৎ সর্বশেষ মুদ্রিত সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছিল তিন ভাগে: একটি ১২ খণ্ডের মাইক্রোপিডিয়া যেখানে সাধারণত ছোট ছোট ৭৫০ শব্দের নিবন্ধ স্থান পায়, একটি ১৯ খণ্ডের ম্যাক্রোপিডিয়া যাতে বড় (২ থেকে ৩১০ পৃষ্ঠা) নিবন্ধ প্রকাশিত হয়, এবং একটি এক খণ্ডের প্রোপিডিয়া যাতে ব্রিটানিকার সমগ্র জ্ঞানের একটি ধারাবাহিক ভূমিকা দেয়া হয়। মাইক্রোপিডিয়া হচ্ছে দ্রুত কোন বিষয় সম্পর্কে সংক্ষেপে জানার জন্য এবং আরও জানার ইচ্ছা থাকলে সেখান থেকে ম্যাক্রোপিডিয়াতে যেতে হয়। আর প্রোপিডিয়া একটি নিবন্ধকে অপেক্ষাকৃত বড় প্রেক্ষাপটে স্থাপন করে সে সম্পর্কিত অন্যান্য নিবন্ধের ধারণা দেয়। প্রায় ৭০ বছর ধরে ব্রিটানিকার মুদ্রিত সংস্করণের আকার প্রায় ধ্রুব ছিল- প্রায় ৫ লক্ষ বিষয়ের উপর প্রায় ৪ কোটি শব্দ। ১৯০১ সালের পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রকাশিত হলেও ব্রিটানিকাতে ব্রিটিশ বানান পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:বিশ্বকোষ বিষয়শ্রেণী:ইংরেজি ভাষার বিশ্বকোষ
এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকা
thumb|330px|ন্যাটো জোটভুক্ত দেশগুলো নীল রঙে চিহ্নিত উত্তর আটলান্টিক নিরাপত্তা জোট বা ন্যাটো (; ) ১৯৪৯ সালের ৪ এপ্রিল প্রতিষ্ঠিত একটি সামরিক সহযোগিতার জোট। ন্যাটো জোটভুক্ত দেশগুলোর পারস্পরিক সামরিক সহযোগিতা প্রদানে অঙ্গীকারবদ্ধ। আটলান্টিক মহাসাগরের দুই পাড়ে অবস্থিত উত্তর আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা এবং ইউরোপের অধিকাংশ দেশ এই জোটের সদস্য। এছাড়া তুরস্কও এই জোটের সদস্য। প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য ১২টি। ন্যাটোর বর্তমান সদর দপ্তর যদিও বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে, পূর্বে এর সদর দপ্তর ছিলো ফ্রান্সের প্যারিসে। এই সামরিক জোটের এস্যোসিয়েট সদস্য দেশ রাশিয়া সদস্য নয়। সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে তুরস্ক ও আলবেনিয়াই কেবল মুসলিম দেশ। জেসন স্টলবারবার্গ বর্তমানে ন্যাটো মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ন্যাটো একটি সম্মিলিত প্রতিরক্ষা গোষ্ঠী। এর সদর দপ্তর বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে অবস্থিত। ন্যাটোর বর্তমান সদস্য-দেশের সংখ্যা ৩০। সর্বশেষ যোগ দেয় উত্তর মেসিডোনিয়া ২৭/০৩/২০২০ তারিখে। ২০০৯ সালের ১ এপ্রিল আলবেনিয়া এবং ক্রোয়েশিয়া ন্যাটোতে যোগ দেয়। ন্যাটোর সম্মিলিত সামরিক বাহিনীর খরচ পৃথিবীর সকল দেশের সামরিক খরচের প্রায় ৭০ ভাগ। উদ্দেশ্য সমূহ প্রতিষ্ঠার প্রথম দুই বছর ন্যাটো একটি রাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে ছিল, কিন্ত কোরিয় যুদ্ধের পর ন্যাটো সদস্যরা চিন্তিত হয়ে পড়েন এবং যুক্তরাষ্ট্রের দুই জন সর্বোচ্চ সামরিক কমান্ডারের অধীনে একটি সমন্বিত সামরিক কাঠামো গড়ে তোলা হয়। ন্যাটোর প্রথম মহাসচিব ছিলেন লর্ড ইসমে। তিনি ১৯৪৯ সালে বলেন যে, "এই প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্য হল রাশিয়ানদের দূরে রাখা, আমেরিকানদের কাছে আনা এবং জার্মানদের দাবিয়ে রাখা"। ১৯৮৯ সালে বার্লিন দেয়াল ভেঙ্গে ফেলা হলে ন্যাটো যুগোস্লাভিয়ার দিকে মনোনিবেশ করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৯১ থেকে ১৯৯৫ পর্যন্ত বসনিয়ায় ন্যাটো মধ্যস্ততামূলক সামরিক অভিযান চালায় এবং পরে ১৯৯৯ সালে যুগোস্লাভিয়ায় অভিযান চালায়। সদস্য দেশসমূহ প্রতিষ্ঠাতা দেশ (১২টি দেশ) বেলজিয়াম কানাডা ডেনমার্ক ফ্রান্স আইসল্যান্ড ইটালি লুক্সেমবার্গ নেদারল্যান্ড নরওয়ে পর্তুগাল যুক্তরাজ্য যুক্তরাষ্ট্র সদস্য দেশ গ্রীস তুরস্ক জার্মানী স্পেন চেক রিপাবলিক হাঙ্গেরী পোল্যান্ড বুলগেরিয়া এস্তোনিয়া লাটভিয়া লিথুয়ানিয়া রোমানিয়া স্লোভাকিয়া স্লোভেনিয়া আলবেনিয়া ক্রোয়েশিয়া মন্টিনিগ্রো উত্তর মেসোডেনিয়া তথ্যসূত্র https://en.m.wikipedia.org/wiki/NATO সর্বশেষ সম্মেলন:বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে, ১২-০৭-২০১৮। বিষয়শ্রেণী:আঞ্চলিক জোট
ন্যাটো
ওয়ারফেজ বা ওয়ারফেইজ‌ বাংলাদেশের অন্যতম একটি জনপ্রিয় হার্ড রক ও মেটাল ঘরানার সঙ্গীতদল (ব্যান্ড)। ১৯৮৪ সালের ৫ জুন ওয়ারফেইজ গঠিত হয়। ১৯৯১ সালে Warfaze নামক সঙ্গীত-সঙ্কলন (অ্যালবাম) প্রকাশের মাধ্যমে দলটির যাত্রা শুরু। এই সঙ্গীত-সঙ্কলনটি বিপুল জনপ্রিয়তা লাভ করে। এই পর্যন্ত ওয়ারফেইজ সাতটি সঙ্গীত-সঙ্কলন প্রকাশ করেছে,সর্বশেষ ছিলো সত্য যা ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে শ্রোতামহলে। পথচলা-২ নামক নতুন সঙ্গীত-সঙ্কলনের কাজ চলছে বলে জানা যায়,বছরের শেষ নাগাদ প্রকাশ পেতে পারে। সময়ের সাথে সাথে দলটির সদস্যতালিকাতে (লাইন-আপ) ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। প্রথম সদস্যতালিকার অধিকাংশই সেন্ট যোসেফ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন। দলের বর্তমান সদস্যরা হলেন ইব্রাহীম আহমেদ কমল (লিড গিটার), শেখ মনিরুল আলম টিপু (ড্রামস), সামস মনসুর (কিবোর্ড), নাঈম হক রজার (বেস গিটার), সামির হাফিজ, সৌমেন দাস (লিড গিটার) এবং পলাশ নূর (ভোকাল)। ব্যান্ডটি এ পর্যন্ত আটটি সঙ্গীত-সঙ্কলন বের করেছে যার মধ্যে সাতটি স্টুডিওতে ধারণকৃত সঙ্গীত-সঙ্কলন এবং একটি বাছাইকৃত সংগীত-সঙ্কলন (কম্পাইলেশন অ্যালবাম) রয়েছে। ওয়ারফেইজ সঙ্গীতদলটি নিয়মিতভাবে বিভিন্ন স্থানে সঙ্গীত পরিবেশন অনুষ্ঠানে (কনসার্ট) অংশ নিচ্ছে। প্রথম সংগীত-সঙ্কলনের (অ্যালবাম) পূর্বে সদস্যতালিকা কমল হেলাল মীর নাইমুল বাপ্পি </div> প্রথম সংগীত-সঙ্কলনের (অ্যালবাম) সময়কালীন সদস্যতালিকা সঞ্জয় (ভোকাল) টিপু (ড্রাম্‌স) বাবনা (বেজ গিটার, ভোকাল) কমল (লিড গিটার) রাসেল (কিবোর্ড ও গিটার) </div> প্রথম সংগীত-সঙ্কলনটি ব্যবসাসফল হওয়ার পর ওয়ারফেজ পরবর্তী সংগীত-সঙ্কলনটির শব্দধারণের (রেকর্ড) জন্য গান রচনা শুরু করে। তারপর ১৯৯৪ সালে বের হয় দ্বিতীয় অ্যালবাম অবাক ভালবাসা। এই সংগীত-সঙ্কলনটিও যথেষ্ট জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। বর্তমান সদস্যতালিকা নিচে ওয়ারফেইজের বর্তমান সদস্যতালিকা দেওয়া হল। পলাশ (ভোকাল) কমল (গিটার) টিপু (ড্রামস) রজার (বেস) শামস (কি-বোর্ড) সামির (গিটার) সৌমেন (গিটার) </div> সংগীত-সঙ্কলনের (অ্যালবাম) তালিকা Warfaze (২২ জুন, ১৯৯১) অবাক ভালবাসা (৫ সেপ্টেম্বর, ১৯৯৪) জীবনধারা (৫ ফেব্রুয়ারি, ১৯৯৭) অসামাজিক (২ এপ্রিল, ১৯৯৮) আলো (২০০০) মহারাজ (জুন,২০০৩) পথচলা (১৪ এপ্রিল, ২০০৯) সত্য (২১ অক্টোবর, ২০১২) </div> জনপ্রিয় গান বসে আছি (Warfaze) একটি ছেলে (Warfaze) স্বাধিকার (Warfaze) অবাক ভালোবাসা (অবাক ভালোবাসা) ধূপছায়া (জীবনধারা) জননী (জীবনধারা) নেই প্রয়োজন (অসামাজিক) অসামাজিক (অসামাজিক) প্রতিচ্ছবি (অসামাজিক) ধূসর মানচিত্র (অসামাজিক) মুক্তি চাই (মিশ্র অ্যালবাম-ধূন) মনে পড়ে (মিশ্র অ্যালবাম-ধূন) আলো (আলো) যত দূরে (আলো) সময় (আলো) বেওয়ারিশ (আলো) মহারাজ (মহারাজ) তোমাকে (পথচলা) পূর্ণতা (সত্য) সত্য (সত্য) না (সত্য) রূপকথা (সত্য) "প্রতীক্ষা" ("সত্য")</div> শোক নামে একটি অপ্রকাশিত গান রয়েছে। বহিঃসংযোগ ওয়ারফেজের পথচলা পঁয়ত্রিশ ছুঁয়েছে তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশের ব্যান্ড বিষয়শ্রেণী:বাংলা ব্যান্ড
ওয়ারফেজ
অতিথিশালা এক ধরনের হোটেল-সদৃশ অস্থায়ী আবাসভবন। এটিতে সাধারণত একটি ব্যক্তিগত বাসভবনকে রূপান্তরিত করে কেবল অতিথিদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। অতিথিশালার মালিক একই এলাকাতেই আরেকটি বাসভবনে থাকেন ও সেটির দেখাশোনা করেন। অতিথিশালার সুবিধাগুলি হল ব্যক্তিগত সেবার উচ্চমান, খাবারের ভাল মান, কোলাহলমুক্ত পরিবেশ, সস্তা দাম, ইত্যাদি। সরকারি অতিথিশালা সার্কিট হাউজ বাংলাদেশের প্রত্যেকটি জেলায় আগত রাষ্ট্রীয় অতিথি, ভিভিআইপি, ভিআইপি কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিদের অবস্থানের জন্য একটি করে সার্কিট হাউজ আছে। অবিভক্ত ভারতবর্ষে তৎকালীন ব্রিটিশ সরকারের শাসনামলে বিভাগীয় কমিশনারগণ সার্কিটকোর্ট করার জন্য জেলায় যে ভবনে অবস্থান করতেন-সেটি সার্কিট হাউজ নামে পরিচিত। ১৭৭২ সালে কালেক্টর পদ সৃষ্টি হওয়ার পর লর্ড ওয়ারেন হেস্টিংস রাজস্ব কার্যাবলি সমন্বয়ের জন্য রাজস্ব কমিটি প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা করেন। ১৭৮৫ সালে রাজস্ব কমিটি পুনর্গঠন করা হয়। ১৭৮৬ সালে রাজস্ব কমিটিকে রাজস্ব বোর্ড নাম দেওয়া হয়। সাধারণভাবে কর্নওয়ালিস কোড নামে পরিচিত ১৭৯৩ সালের বিধিমালা অনুযায়ী রাজস্ব বোর্ডের গঠনতন্ত্র আরও সংশোধন করা হয়। লর্ড কর্নওয়ালিশ কর্তৃক চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত ব্যবস্থা প্রবর্তনের ফলে ইংরেজ সরকার রাজস্ব আদায় বিষয়ক চিন্তাভাবনা থেকে মোটামুটি মুক্ত হয়ে রাজ্যসীমা বিস্তার ও অন্যান্য প্রশাসনিক কাজে মনোযোগী হওয়ার সুযোগ পায়। ১৭৯৩ থেকে ১৮২৮ সাল পর্যন্ত রাজস্ব বোর্ডের একজন জ্যেষ্ঠ সরকারি কর্মকর্তা জেলা কালেক্টরের নিযুক্তি, বদলি ও সার্বিক কার্যক্রম তদারকি করতেন। কিন্তু লর্ড উইলিয়ম বেন্টিঙ্কের প্রশাসন লক্ষ্য করেন যে, রাজস্ব বোর্ড বিচারবিভাগীয় ও প্রশাসনিক কাজে অধিক ভারাক্রান্ত। জেলায় কাজের সমন্বয় সাধন এবং তত্ত্বাবধানের ক্ষেত্রেও ব্যাপক অভাব পরিলক্ষিত হয়। এর ফলশ্রুতিতে ১৮২৯ সালে পাশ হয় 'বেঙ্গল রেভিনিউ কমিশনারস্ রেগুলেশন'। রাজস্ব বোর্ড এবং জেলা কালেক্টরদের মধ্যে তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের একটি নতুন স্তর তৈরি করা হয়। সৃষ্টি হয় 'রেভিনিউ কমিশনার' এর পদ, কালক্রমে যাঁর এখনকার পদবী 'বিভাগীয় কমিশনার'। আইনে বিভাগীয় কমিশনারকে জেলা কালেক্টরেটের আদেশের বিরুদ্ধে রাজস্ব এবং ফৌজদারী বিষয়ক আপিল শুনানীর ক্ষমতা প্রদান করা হয়। তার জন্য প্রতিটি জেলায় তৈরি করা হয় একটি করে 'সার্কিট কোর্ট' যা বর্তমানে 'সার্কিট হাউজ' নামে বহুল পরিচিত। জেলা পরিদর্শনকালে বিভাগীয় কমিশনারগণ কয়েকদিন যাবৎ সার্কিট হাউজে অবস্থান করে রাজস্ব ও ফৌজদারী আপিল শ্রবণ এবং রাজস্ব আদায় সংক্রান্ত বিষয়াদি দেখভাল করতেন। সেই সময় থেকে সার্কিট হাউজকে বিভাগীয় কমিশনারের ‘Extended Home’ বা বর্ধিত বাসভবন বলা হয়ে থাকে। এ কারণে একমাত্র বিভাগীয় কমিশনারকে সার্কিট হাউজে অবস্থানের জন্য ভাড়া পরিশোধ করতে হয় না। সার্কিট হাউজ বর্তমানে জেলা সফরে আগত রাষ্ট্রীয় অতিথি, ভিভিআইপি, ভিআইপি ও সরকারি উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাগণের সরফকালীন আবাসস্থল হিসেবে ব্যবহৃত হয়। সার্কিট হাউজ ব্যবস্থাপনার সার্বিক দায়িত্ব 'জেলা প্রশাসক' এর উপর ন্যাস্ত। জেলা প্রশাসকের পক্ষে 'নেজারত ডেপুটি কালেক্টর' এ দায়িত্ব পালন করে থাকেন। তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:হোটেল
অতিথিশালা
শ্রাবণ বাংলা সনের চতুর্থ মাস এবং ভারতীয় রাষ্ট্রীয় শকাব্দের পঞ্চম মাস। বর্ষার সমাপ্তি। নামের উৎস নামটি এসেছে শ্রবণা নক্ষত্রে সূর্যের অবস্থান থেকে। তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ বিষয়শ্রেণী:শ্রাবণ বিষয়শ্রেণী:বাংলা পঞ্জিকার মাস
শ্রাবণ
আষাঢ় বাংলা সনের তৃতীয় মাস। ভারতীয় রাষ্ট্রীয় শকাব্দের চতুর্থ মাস। এটি বর্ষা মৌসুমে অন্তর্ভুক্ত দুই মাসের প্রথম মাস। নামের উৎস নামটি এসেছে পূর্বাষাঢ়া নক্ষত্র ও উত্তরাষাঢ়া নক্ষত্রে সূর্যের অবস্থান থেকে। তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ বিষয়শ্রেণী:আষাঢ় বিষয়শ্রেণী:বাংলা পঞ্জিকার মাস
আষাঢ়
আব্দুস সালাম মুর্শেদী হলেন একজন বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ, উদ্যোক্তা এবং সাবেক ফুটবল খেলোয়াড়। তিনি বর্তমানে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি এবং এনভোয় গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও তিনি বাংলাদেশে এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ইএবি) সভাপতি এবং বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সাবেক সভাপতি ছিলেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাথে সংযুক্ত হয়ে তিনি ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে খুলনা-৪ আসনের জন্য বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি ২০১৪ সালে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (সিআইপি) হিসেবে নির্বাচিত হন। প্রারম্ভিক জীবন আব্দুস সালাম মুর্শেদী বাংলাদেশের খুলনা জেলার রূপসা উপজেলার নৈহাটী গ্রামেজন্মগ্রহণ করেছেন এবং সেখানেই তার শৈশব অতিবাহিত করেছেন। তার বাবার নাম মোহাম্মদ ইসমাইল এবং তার মাতার নাম মোসাম্মদ রিজিয়া খাতুন। তার চার ভাই ও দুই বোনের মধ্যে তিনিও একমাত্র ফুটবল খেলোয়াড় ছিলেন। তার বড় ভাই জামাল হায়দার ১৯৭১ সালের পূর্বে ভলিবলে পূর্ব পাকিস্তানের প্রতিনিধিত্ব করেন। তার তৃতীয় ভাই আবুল কালাম আজাদ ১৯৭০-এর দশকের শেষের দিকে এবং ১৯৮০-এর দশকের শুরুতে বাংলাদেশের বডি বিল্ডিং চ্যাম্পিয়ন ছিলেন। ক্লাব ফুটবল মুর্শেদী ফুটবলে একজন অত্যন্ত সফল কেন্দ্রীয় আক্রমণভাগের খেলোয়াড় ছিলেন। তিনি খুলনায় ফুটবল খেলা শুরু করেন। ১৯৭০-এর দশকে তিনি খুলনার ইয়ং বয়েজ ক্লাবের হয়ে খেলার মাধ্যমে তিনি তার জ্যেষ্ঠ পর্যায়ের খেলোয়াড়ি জীবন শুরু করেছেন। তিনি ১৯৭০-এর দশকের শেষের দিকে খুলনা থেকে ঢাকায় আসেন। উক্ত সময় তিনি আজাদ স্পোর্টিং ক্লাবের হয়ে ঢাকা জ্যেষ্ঠ বিভাগ ফুটবল লীগে খেলা শুরু করেন। ১৯৭৯ সালে তিনি বিজেএমসি দলের হয়ে খেলেন এবং তাদের লীগ শিরোপা জয়লাভ করতে সাহায্য করেন। তিনি ১৯৮০ সালে ঢাকা মোহামেডানে যোগদান করেন। ঢাকা মোহামেডানের হয়ে তিনি ১৯৮০ এবং ১৯৮২ সালে লীগ শিরোপা এবং ১৯৮০ সাল থেকে টানা ৪ বার ফেডারেশন কাপ শিরোপা জয়লাভ করেছেন। ১৯৮১ সালে, তিনি ওয়ারীর বিরুদ্ধে সুপার লীগ ম্যাচে ৪টি গোল করেন, এছাড়াও অধিনায়ক [বাদল রায় (ফুটবলার)|বাদল রায়ের]] করা দুই গোল ঢাকা মোহামেডানকে ৬–০ গোলের বড় ব্যবধানে ম্যাচটি জয়লাভ করতে সাহায্য করেছে। ১৯৮২ সালে মুর্শেদী তার খেলোয়াড়ি জীবনে সফলতার শীর্ষে পৌঁছেছিলেন। তিনি ভারতের পশ্চিমবঙ্গে অনুষ্ঠিত আশিস-জব্বার গোল্ড কাপে ১০টি গোল করার মধ্য দিয়ে মৌসুম শুরু করেন। তিনি ঢাকা মোহামেডানের হয়ে শিরোপা জয়লাভ করার পাশাপাশি উক্ত মৌসুমে সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার জয়লাভ করেছিলেন। এরপর ঢাকা লীগে তিনি এক মৌসুমে ২৭টি গোল করে একটি নতুন রেকর্ড গড়েন। পুরো মৌসুম জুড়ে তার এবং ১০ নম্বর জার্সি পরিহিত বাদল রায়ের সঙ্গে একটি চমৎকার বোঝাপড়া দেখা গিয়েছিল। তবে তিনি ১৯৮৩ সালে হাতে আঘাত পান, যদিও তিনি কয়েক মাসের মধ্যে ফুটবলে ফিরে আসেন, তবে তিনি আর কখনো আগের মতো খেলতে পারেননি। আন্তর্জাতিক ফুটবল মুর্শেদী বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে খেলার মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ১৯৮০ সালের ডিসেম্বর মাসে তিনি ঢাকায় অনুষ্ঠিত ম্যাচে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অভিষেক করেছেন। বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে খেলার সময় তিনি বিজেএমসি দলের আসলামের সাথে খেলেছেন। বাংলাদেশ উক্ত বাছাইপর্বে রানার-আপ হয়েছিল এবং মূল প্রতিযোগিতায় খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছিল। ১৯৮১ সালের প্রথম দিকে বাংলাদেশ (লাল) নামে পরিচিত যুব দল ঢাকায় অনুষ্ঠিত প্রথম প্রেসিডেন্ট'স কাপের ফাইনালে পৌছায়। কিন্তু তারা ফাইনালে দক্ষিণ কোরিয়ার কাছে পরাজিত হয়। ১৯৮৩ সালে বাংলাদেশ (সবুজ) দলের হয়ে মালয়েশিয়ার বিরুদ্ধে খেলার সময় মুর্শেদী গুরুতরভাবে হাতে আঘাত পান এবং এর ফলে আন্তর্জাতিক ফুটবলে তার সম্ভাবনা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ব্যবসা মুর্শেদী এনভোয় গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও তিনি প্রিমিয়ার ব্যাংক লিমিটেডের পরিচালক ছিলেন। তিনি ১৯৮৪ সালে এনভোয় গার্মেন্টসের মাধ্যমে ব্যবসা ক্ষেত্রে তার যাত্রা করেন। পরবর্তীকালে তিনি আরো ১৫টি পোশাক প্রস্তুত প্রতিষ্ঠান তৈরি করেন। তিনি বর্তমানে বাংলাদেশ এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ইএবি) সভাপতি, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি, বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজির পরিচালনা পর্ষদের সদস্যের দায়িত্ব পালন করছেন। ইতিপূর্বে তিনি বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতি এবং ঢাকা মোহামেডানের পরিচালক দায়িত্ব পালন করেছেন। মুর্শেদী ব্যবসার পাশাপাশি শারীরিকভাবে অক্ষমদের জন্য ফিজিক্যালি চ্যালেঞ্জড ডেভলপমেন্ট ফাউন্ডেশন নামের একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত আছেন। এই ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে স্থানীয়ভাবে বিভিন্ন সহায়তা, খেলাধুলায় সহায়তা এবং ফুটবলের উন্নয়নের নানা ধরনের কাজ করে থাকেন তিনি। পারিবারিক জীবন মুর্শেদী শারমিন সালামের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। তাদের উভয়ের দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। পুরস্কার জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার: ২০১৩ কর বাহাদুর পরিবার: ২০১৭ তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:জীবিত ব্যক্তি বিষয়শ্রেণী:খুলনা জেলার ব্যক্তি বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশী ফুটবলার বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশী ব্যবসায়ী বিষয়শ্রেণী:জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার বিজয়ী বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতিবিদ বিষয়শ্রেণী:দশম জাতীয় সংসদ সদস্য বিষয়শ্রেণী:একাদশ জাতীয় সংসদ সদস্য
আব্দুস সালাম মুর্শেদী
গি ফোর্জে () (জন্ম জানুয়ারি ৪, ১৯৬৫) আশির দশক ও নব্বইয়ের দশকের একজন কৃতি ফরাসি টেনিস খেলোয়াড়। তিনি ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালে ডেভিস কাপ বিজয়ী ফরাসি টেনিস দলের দলনেতা ছিলেন। পাদটীকা বিষয়শ্রেণী:১৯৬৫-এ জন্ম বিষয়শ্রেণী:ফরাসি টেনিস খেলোয়াড় বিষয়শ্রেণী:হপম্যান কাপের প্রতিযোগী
গি ফোর্জে
ফজলে লোহানী (১৯২৮ – অক্টোবর ৩০, ১৯৮৫) বাংলাদেশের একজন প্রখ্যাত সাংবাদিক ও টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব। বিটিভির ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান যদি কিছু মনে না করেন-এর উপস্থাপক হিসেবে তিনি বিপুল জনপ্রিয়তা লাভ করেন। ১৯৮৫ সালে আকস্মিকভাবে মৃত্যুবরণ করেন। তার ভাই ফতেহ লোহানী ছিলেন বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব। জন্ম ও শিক্ষা জীবন লোহানী ১৯২৮ সালের ১২ মার্চ সিরাজগঞ্জ জেলার কাউলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা আবু লোহানী ছিলেন সাংবাদিক ও সাহিত্যিক ও মা ফাতেমা লোহানী ছিলেন কলকাতা করপোরেশন স্কুলের শিক্ষিকা। তিনি সিরাজগঞ্জ বিএল স্কুল থেকে ম্যাট্রিক এবং কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে বিএসসি পাস করেন। ১৯৪৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে এমএসসি ক্লাসে ভর্তি হলেও চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশ নেননি। তার বড় ভাই ফতেহ লোহানী ছিলেন বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব। কর্মজীবন লোহানী ১৯৪৭ সালে ঢাকা থেকে পূর্ব বাংলা নামে সাপ্তাহিক পত্রিকা এবং ১৯৪৯ এ অগত্যা নামের একটি জনপ্রিয় মাসিক ম্যাগাজিন প্রকাশ করেন। জন্মভূমিতে সাংবাদিক হিসেবে কয়েক বছর কাজ করার পরে তিনি যুক্তরাজ্যে চলে যান এবং সেখানে বিবিসি তে কাজ করেন। পরবর্তীতে তিনি দেশে ফিরে এলে একজন সাংবাদিক এবং লেখক হিসেবেই পরিচিত ছিলেন। তিনি পেনশন নামে একটি চলচ্চিত্র প্রযোজনা করেন। তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশী সাংবাদিক বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশী টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব বিষয়শ্রেণী:১৯২৮-এ জন্ম বিষয়শ্রেণী:১৯৮৫-এ মৃত্যু বিষয়শ্রেণী:সিরাজগঞ্জ জেলার ব্যক্তি
ফজলে লোহানী
মোহাম্মদ নিজাম পাকির আলি একজন প্রাক্তন শ্রীলংকান ফুটবলার ও প্রশিক্ষক। তিনি একজন স্টপার ব্যাক ছিলেন। তিনি শ্রীলংকার জাতীয় ফুটবল দল ও আই লীগের দল চিরাগ ইউনাইটেড ক্লাব কেরালার ম্যানেজার ছিলেন। এছাড়াও তিনি বাংলাদেশের পিডাব্লিউডি, আবাহনী, মোহামেডান, শেখ জামাল ও বিজেএমসিতে দলের প্রশিক্ষক ছিলেন। ২০২০ হতে তিনি বাংলাদেশ পুলিশ ফুটবল দলের প্রশিক্ষক হিসেবে নিযুক্ত। খেলোয়াড়ি জীবন পাকির আলি আশির দশকে বাংলাদেশে আবাহনী দলের শীর্ষস্থানীয় তারকা ছিলেন। আবাহনীর হয়ে বেশ ক’টি শিরোপা জিতেছিলেন তিনি। আবাহনীর পর বেশ কয়েকদিন তিনি পিডাব্লিউডি দলের হয়ে ঢাকা লীগে খেলেছিলেন। তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল লীগে বিদেশী খেলোয়াড় বিষয়শ্রেণী:আবাহনী লিমিটেডের (ঢাকা) ফুটবলার
পাকির আলি
রিচার্ড ফোর্ড (ইংরেজি: Richard Ford; জন্ম: ১৬ই ফেব্রুয়ারি, ১৯৪৪) হলেন একজন মার্কিন ঔপন্যাসিক ও ছোটগল্পকার। 'ফ্রাঙ্ক ব্যাস্‌কোম্ব্‌' (Frank Bascombe) নামক চরিত্রকে ঘিরে লেখা ধারাবাহিক উপন্যাস - দ্য স্পোর্টস্‌রাইটার (১৯৮৬), ইন্ডেপেন্ডেন্স্‌ ডে (১৯৯৫) ও দ্য লে অব দ্য ল্যান্ড (২০০৬) তার সবচেয়ে বিখ্যাত সৃষ্টি। তার অন্যান্য সৃষ্টিকর্মের মধ্যে রয়েছে ছোটগল্প সংকলন রক স্প্রিংস ও লেট মি বি ফ্র্যাঙ্ক উইথ ইউ। প্রারম্ভিক জীবন ফোর্ড ১৯৪৪ সালের ১৬ই ফেব্রুয়ারি মিসিসিপির জ্যাকসনে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা পার্কার ক্যারল ফোর্ড এবং মাতা এডনা ফোর্ড। পার্কার ছিলেন ক্যান্সাস সিটি ভিত্তিক ফল্টলেস স্ট্রার্চের পর্যটন কর্মী। তার মায়ের সম্পর্কে তিনি বলেন, তার প্রথম আকাঙ্ক্ষা ছিল তার পিতার ভালোবাসা অর্জন এবং দ্বিতীয় ছিল একজন মা হওয়া। ফোর্ডের যখন আট বছর বয়স, তখন তার পিতার একটি মারাত্মক হার্ট অ্যাটাক হয়। ফলে তাকে বেশিরভাগ সময় তার দাদার সাথে কাটাতে হয়। তার দাদা ছিলেন একজন মুষ্টিযোদ্ধা এবং আর্কানসাসের লিটল রকের একটি হোটের মালিক ছিলেন। ফোর্ডের পিতা ১৯৬০ সালে দ্বিতীয় আরেকটি হার্ট অ্যাটাকে মারা যান। গ্রন্থতালিকা উপন্যাস আ পিস অব মাই হার্ট (১৯৭৬) দি আল্টিমেট গুড লাক (১৯৮১) দ্য স্পোর্টস্‌রাইটার (১৯৮৬) ওয়াইল্ডলাইফ (১৯৯০) ইন্ডেপেন্ডেন্স্‌ ডে (১৯৯৫) দ্য লে অব দ্য ল্যান্ড (২০০৬) কানাডা (২০১৩) ছোটগল্প রক স্প্রিংস (১৯৮৭) লেট মি বি ফ্র্যাঙ্ক উইথ ইউ (২০১৪) তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:১৯৪৪-এ জন্ম বিষয়শ্রেণী:জীবিত ব্যক্তি বিষয়শ্রেণী:পুলিৎজার পুরস্কার বিজয়ী বিষয়শ্রেণী:মার্কিন ঔপন্যাসিক বিষয়শ্রেণী:মার্কিন ছোটগল্পকার বিষয়শ্রেণী:মিসিসিপির ঔপন্যাসিক
রিচার্ড ফোর্ড
ইরান ( ইরান ), যা ঐতিহাসিকভাবে পারস্য এবং রাষ্ট্রীয়ভাবে ইসলামি প্রজাতন্ত্রী ইরান ( জোমহুরি-এ-এসলামি-এ-ইরান ) নামে পরিচিত, হল পশ্চিম এশিয়ার একটি দেশ। এর উত্তর-পশ্চিমে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান, উত্তরে কাস্পিয়ান সাগর, উত্তর-পূর্বে তুর্কমেনিস্তান, পূর্বে আফগানিস্তান, দক্ষিণ-পূর্বে পাকিস্তান, দক্ষিণে পারস্য উপসাগর ও ওমান উপসাগর এবং পশ্চিমে তুরস্ক ও ইরাক অবস্থিত। ইউরেশিয়ার কেন্দ্রে এবং হরমুজ প্রণালীর নিকটে অবস্থিত হওয়ায় দেশটি ভূকৌশলগতভাবে খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। ইরানের রাজধানী ও বৃহত্তম শহর তেহরান যা দেশটির অগ্রগামী অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্রও বটে। তেহরান পশ্চিম এশিয়ার সবচেয়ে জনবহুল শহর যার জনসংখ্যা ৮.৮ মিলিয়ন এবং মহানগর অঞ্চল মিলিয়ে ১৫ মিলিয়নেরও বেশি। ইরানের জনসংখ্যা ৮৩ মিলিয়ন এবং এটি বিশ্বের ১৭তম সর্বাধিক জনবহুল দেশ। ১৬,৪৮,১৯৫ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এই দেশটি মধ্যপ্রাচ্যের দ্বিতীয় বৃহত্তম এবং পৃথিবীর সপ্তদশ বৃহত্তম রাষ্ট্র। ইরান বিশ্বের সবচেয়ে পর্বতময় দেশগুলির একটি; এখানে হিমালয়ের পরেই এশিয়ার সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ দামভান্দ অবস্থিত। দেশটির জনগণ জাতিগত ও ভাষাগতভাবে বিচিত্র হলেও এরা প্রায় সবাই মুসলিম। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে এ অঞ্চলটি ইসলামের শিয়া মতাবলম্বীদের কেন্দ্র। ইরানে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ খনিজ তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাসের ভাণ্ডার আছে। পারস্য উপসাগরের অন্যান্য তেলসমৃদ্ধ দেশের মতো ইরানেও তেল রপ্তানি ২০শ শতকের শুরু থেকে দেশটির অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি।. খ্রিস্টপূর্ব ৬ষ্ঠ শতাব্দীতে বর্তমান ইরান ছিল বিশ্বের শ্রেষ্ঠ সাম্রাজ্য পারস্যের কেন্দ্র। প্রায় ২০০০ বছর ধরে এ অঞ্চলের অধিবাসীরা নিজেদের দেশকে "ইরান" নামে ডাকত। ইরান নামটি এই এলাকায় বসতি স্থাপনকারী আর্য গোত্রের নাম থেকে নেয়া। কিন্তু গ্রিকরা এই অঞ্চলকে পার্সিস (বর্তমান ইরানের ফার্স প্রদেশ) বলে ডাকত, এবং সেখান থেকে ইউরোপীয় ভাষায় এর নাম হয় পার্সিয়া , যা বাংলায় লিপ্যন্তর করা হয় পারস্য হিসেবে। ১৯৩৫ সালে ইরানের শাসক দেশটিকে কেবল "ইরান" বলে ডাকার অনুরোধ জানানোর পর থেকে এখন এই নামেই সারা বিশ্বে দেশটি পরিচিত। ১৫০১ সাল থেকে ১৯৭৯ সাল পর্যন্ত রাজতন্ত্রী ইরান হয় শাহ কিংবা রাজারা শাসন করতেন। ১৯৭৯ সালে ইরানী বিপ্লব গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে রাজতন্ত্রের পতন ঘটায় এবং ইরানে একটি ইসলামী প্রজাতন্ত্র স্থাপন করে। ইরান একটি বহু-সাংস্কৃতিক দেশ যেখানে অনেক উপজাতীয় এবং ভাষাগত দল রয়েছে। বৃহত্তম পারস্য (৬১%), আজারবাইজান (১৬%), কুর্দিস্তান (১০%) এবং লোরি (৬%)। ইতিহাস ইরান পৃথিবীর প্রাচীনতম কাল থেকে শুরু করে বর্তমান পর্যন্ত অস্তিত্বশীল বৃহৎ সভ্যতাগুলোর মধ্যে অন্যতম। ইরানের ইতিহাস হাজার হাজার বছরের যার সূচনা হিসেবে বলা যায় ইরানী প্লেট-এ অবস্থিত আজারবাইজানের মানইয়ান সভ্যতা। এর পর আসে জাবোলের শহর-ই-সোখতা এবং প্রাচীন জিরফ্ট সম্রাজ্য যা এলাম সম্রাজ্যএবং আকামেনিদ সাম্রাজ্য দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয়। পরবর্তীতে আসে পার্সিয়ান এবং সাসানীয় সাম্রাজ্য যার পতনের মাধ্যমেই আধুনিক ইসলামী প্রজাতন্ত্রী ইরানের অভ্যুদয় ঘটে। পৃথিবীর উত্তরাংশ থেকে আর্যদের আগমনের পূর্বেই ইরানী প্লেটে অনেক প্রাচীন এবং প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে অগ্রগামী সভ্যতার অস্তিত্বের প্রমাণ পাওয়া যায় যদিও আর্য জাতির অনেক ইতিহাসই এখনও পর্যন্ত অনেক ঐতিহাসিকের কাছে অজানা রয়ে গেছে। প্রত্নতাত্ত্বিক গবেষণার ফলাফল অনুসারে পারস্যের ইতিহাসের সূচনা ধরা হয়েছে প্যালিওলিথিক যুগের মাঝামাঝি সময়ে অর্থাৎ আজ থেকে প্রায় ১০০,০০০ বছর আগে। ৭ম শতাব্দীরে ইসলামের পারস্য বিজয়-পরবর্তী ইরানের ইতিহাস নিচে দেয়া হল। আরব মুসলিমেরা ৬৩৬ খ্রিষ্টাব্দে পারস্য সাসানীয় সাম্রাজ্যে আক্রমণ শুরু করে। পরবর্তী ৫ বছরের মধ্যে তারা এলবুর্জ পর্বত ও কাস্পিয়ান সাগরের তীরবর্তী সমভূমি ব্যতীত সমগ্র ইরান করায়ত্ত করে। ৬৫১ সালে তারা সাসানিদ সাম্রাজ্যের পূর্ণ পতন ঘটাতে সক্ষম হয়। এর পর প্রায় দুই শতাব্দী ধরে ইরান আরব ইসলামিক সাম্রাজ্যের অধীনে থাকে। এসময় মূল ইরানের বাইরে বর্তমান পশ্চিম আফগানিস্তানের হেরাতেও এই সাম্রাজ্যের বিস্তার ঘটেছিল। ইসলামের খলিফারা প্রথমে মদীনা, ও পরবর্তীকালে সিরিয়ার দামেস্ক ও শেষ পর্যন্ত ইরাকের বাগদাদ থেকে ইরান শাসন করতেন। ৯ম শতাব্দীর শেষে এসে পূর্ব ইরানে স্বাধীন রাজ্যের আবির্ভাব ঘটে এবং ১১শ শতকের মাঝামাঝি সময়ে বাগদাদের আরব খলিফা ইরানের উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। ইসলামের ইরান বিজয়ের পর ইরানীরা ধীরে ধীরে ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত হওয়া শুরু করে। এর আগে বেশির ভাগ ইরানী সাসানিদ সাম্রাজ্যের রাষ্ট্রধর্ম জরথুষ্ট্রবাদে বিশ্বাসী ছিল ও কিছু সংখ্যালঘু ইরানী খ্রিস্ট ও ইহুদী ধর্মাবলম্বী ছিল। ১০ম শতকের মধ্যেই ইরানের অধিকাংশ জনগণ মুসলিমে রূপান্তরিত হয়, এবং এদের আধিকাংশই ছিল সুন্নী মুসলিম, তবে কেউ কেউ শিয়া ইসলামের ভিন্ন ভিন্ন ধারা অনুসরণ করত। এদের মধ্যে ইসমাইলি নামের একটি শিয়া গোত্র এলবুরুজ পর্বত এলাকার রুদাবার অঞ্চলে ১১শ থেকে ১৩শ শতক পর্যন্ত একটি ছোট কিন্তু স্বাধীন রাজ্যে বসবাস করত। ১৬শ শতকের আগে ইরানের বর্তমান জাফরি শিয়া ইসলাম-ভিত্তিক পরিচিতি গঠন করেনি। ইরানের প্রাচীনতম সভ্যতা, ৮ হাজার বছরের ইতিহাসের সাথে এটি "পিরানশাহর" শহর। রাজনীতি ইরানের রাজনীতি একটি ইসলামী প্রজাতন্ত্র কাঠামোয় সংঘটিত হয়। ১৯৭৯ সালের ডিসেম্বরে গৃহীত সংবিধান এবং ১৯৮৯ সালের সংশোধনী ইরানের রাজনৈতিক ব্যবস্থাকে সংজ্ঞায়িত করেছে। সংবিধানে ইসলাম ধর্মের শিয়া মতটিকে ইরানের রাষ্ট্রধর্ম ঘোষণা করা হয়েছে। আলি খামেনেই বর্তমানে ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা। আর হাসান রুহানি দেশটির নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি। আরও আছে ২৯০ সদস্যবিশিষ্ট এককাক্ষিক আইনসভা। সামরিক বাহিনী ইরানে দুই ধরনের সেনাবাহিনী রয়েছে। একটি প্রথাগত সেনাবাহিনী ও বৈপ্লবিক সুরক্ষা বাহিনী। সেনাবাহিনী এর ৪ টি ভাগ রয়েছে। ভূ সেনা , নৌ সেনা , বায়ু সেনা ও আকাশ প্রতিরক্ষা সেনা। তবে তাদের বায়ু সেনার বিমানগুলো অধিকাংশ পুরোনো প্রযুক্তির। প্রশাসনিক অঞ্চলসমূহ ইরান ৩০টি প্রদেশে বিভক্ত। ফার্সি ভাষায় এগুলির নাম ওস্তান (استان ostān ওস্তান, বহুবচনে استان‌ها ওস্তান্‌হা)। প্রতিটি প্রদেশ একটি স্থানীয় (সাধারণত বৃহত্তম) শহর থেকে শাসিত হয়, যাকে প্রদেশটির রাজধানী (ফার্সি ভাষায়: مرکز মার্কাজ) বলা হয়। প্রদেশের প্রশাসক হিসেবে থাকেন একজন গভর্নর (ফার্সি ভাষায়: استاندار ওস্তানদার), এবং তাকে অভ্যন্তরীণ মন্ত্রণালয় নিয়োগদান করে। প্রতিটি প্রদেশ আবার অনেকগুলি অংশে বিভক্ত, যাদেরকে ফার্সি ভাষায় বলে শাহ্‌রেস্তান (شهرستان)। প্রতিটি শাহ্‌রেস্তান আবার অনেকগুলি জেলায় বিভক্ত, যেগুলিকে বাখ্‌শ বলে। ( بخش)। একেকটি শাহ্‌রেস্তান সাধারণত একাধিক শহর (ফার্সি ভাষায়: شهر শাহ্‌র) এবং অনেক গুচ্ছগ্রাম (ফার্সি ভাষায়: دهستان দেহেস্তান) নিয়ে গঠিত। শাহ্‌রেস্তানের একটি শহরকে সাধারণত সেটির রাজধানী বা কেন্দ্রীয় শহরের মর্যাদা দেয়া হয়। প্রদেশসমূহ ১৯৫০ সাল অবধি ইরান ১২টি প্রদেশে বিভক্ত ছিল: আর্দালান, আজারবাইজান, বালুচিস্তান, ফারস, জিলান, আরাক-ই-আজম, খোরাসান, খুজেস্তান, কেরমান, লারেস্তান, লোরেস্তান এবং মাজান্দারান। ১৯৫০ সালে ইরানকে ১০টি প্রদেশে এবং তার অধীনে অনেকগুলো গভর্নরেটে ভাগ করা হয়: গিলান; মাজান্দারান; পূর্ব আজারবাইজান; পশ্চিম আজারবাইজান; কের্মানশাহ; খুজেস্তান; ফার্স; কের্মান; খোরাসান; ইসফাহান। ১৯৬০ হতে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত এক এক করে অনেকগুলো গভর্নরেটকে প্রদেশে উন্নীত করা হয়। সর্বশেষ ২০০৪ সালে তৎকালীন সর্ববৃহৎ খোরাসান প্রদেশকে তিন ভাগে ভাগ করে তিনটি নতুন প্রদেশ সৃষ্টি করা হয়। ভূগোল thumbnail|right|300px|ইরানের ভূ-সংস্থানিক মানচিত্র thumbnail|right|300px|আয়তন অনুযায়ী ইরানের প্রদেশসমূহ সৌদি আরবের পর ইরান মধ্যপ্রাচ্যের দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ। দেশটির মোট আয়তন ১৬,৪৮,০০০ বর্গকিলোমিটার। দেশটি মোটামুটি ত্রিভুজাকৃতির, যার দীর্ঘতম বাহু প্রায় ২,৫০০ কিমি দীর্ঘ এবং যা উত্তর-পশ্চিমে তুরষ্কের সাথে সীমান্তে শুরু হয়ে দক্ষিণ-পূর্বে পাকিস্তান সীমান্তে এসে শেষ হয়েছে। ত্রিভুজের তৃতীয় শীর্ষটি উত্তর পূর্বে ইরানের সাথে তুর্কমেনিস্তানের সীমানার মাঝামাঝি অবস্থিত। উত্তর-দক্ষিণে ইরানের সর্বোচ্চ বিস্তার ১,৬০০ কিমি, আর পূর্ব-পশ্চিমে ১,৭০০ কিমি। প্রাকৃতিক অঞ্চলসমূহ ইরানের অভ্যন্তরীণ মালভূমিগুলি প্রায় সম্পূর্ণরূপে পর্বতবেষ্টিত। জগ্রোস পর্বতমালা প্রধান পর্বতমালা এবং এটি দেশটির ভেতরে দিয়ে উত্তর-পশ্চিম থেকে দক্ষিণ-পূর্বে ১,৬০০ কিলোমিটারেরও বেশি দৈর্ঘ্য জুড়ে বিস্তৃত। পারস্য উপসাগরের উত্তর উপকূলের খোঁজেস্তন ছাড়া পশ্চিম ইরানের প্রায় পুরোটাই জগ্রোস পর্বতমালায় গঠিত। পর্বতমালাটির মধ্য অংশ প্রস্থে প্রায় ৩৪০ কিমি চওড়া। এর অধিকাংশ চূড়া ৪,০০০ মিটারেরও অধিক উচ্চতাবিশিষ্ট। এদের মধ্যে ৪,৫৪৭ মিটার উঁচু জার্দ কুহ সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ। ২,৩০০ মিটারের চেয়ে উঁচু শৃঙ্গগুলিতে অনেক পানি জমা হয় এবং এগুলি নিচের উপত্যকায় ভূ-গর্ভস্থ পানি আকারে নেমে আসে। এই উপত্যকাগুলি সমুদ্রতল থেকে ১২০০ থেকে ১৫০০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত হলেও যথেষ্ট উর্বর এবং এগুলিতে বিভিন্ন ধরনের শস্যের আবাদ করা হয়। ইরানের উত্তর প্রান্তে একটি খাড়া, সরু পর্বতমালা কাস্পিয়ান সাগরের পুরো দক্ষিণ তীর জুড়ে অবস্থিত; এর নাম আলবোর্জ পর্বতমালা। এই পর্বতমালাটি প্রায় ৬০০ কিমি দীর্ঘ এবং এর গড় প্রস্থ প্রায় ১০০ কিমি। ইরানের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ দামভান্দ (৫,৬৭০ মি) এই পর্বতমালার মধ্যভাগে অবস্থিত। আলবোর্জের আরও অনেকগুলি চূড়া ৩,৬০০ মিটার ছাড়িয়ে গেছে। এই পর্বতমালার উত্তর ঢালের অরণ্যে সারা বছর ধরে ব্যাপক বৃষ্টিপাত হয়। এই পর্বতমালা ও কাস্পিয়ান সাগরের অন্তর্বর্তী স্থানে গড়ে ২৪ কিমি প্রস্থবিশিষ্ট একটি উর্বর সমভূমি আছে। আলবোর্জ পর্বতমালার পূর্বে সমান্তরাল কতগুলি পর্বতমালা রয়েছে, যেগুলি ২৪০০ থেকে ২৭০০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত। এই পর্বতমালাগুলির মাঝে অনেক সরু, আবাদী উপত্যকা আছে। ইরানের পূর্ব সীমান্ত ধরে অনেকগুলি অপেক্ষাকৃত নিম্ন উচ্চতার শৈলশিরা চলে গেছে; এদেরকে একত্রে পূর্বের উঁচু অঞ্চল নামে ডাকা হয়। এই পর্বতমালার বেষ্টনীর মাঝের নিচু এলাকাকে একত্রে কেন্দ্রীয় মালভূমি নামে ডাকা হয়। এদের মধ্যে আছে মধ্য-উত্তর ইরানের দাশ্‌তে কাভির নামের একটি বিরাট লবণাক্ত মরুভূমি, দক্ষিণ-পূর্বের দাশ্‌তে লুত নামের নুড়ি ও বালির মরুভূমি এবং একাধিক উর্বর মরূদ্যান। ইরানের পর্বতগুলি একটি সক্রিয় ভূমিকম্প এলাকার উপর অবস্থিত, এবং প্রতি বছর এখানে বহু ছোট আকারের ভূমিকম্প হয়। বড় আকারের ভূমিকম্প কিছুদিন পর পরই ঘটে এবং বিপুল ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। ১৮শ শতকে ভূমিকম্পের কারণে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের তাবরিজ শহর দুইবার মাটিতে মিশে যায় এবং প্রতিবার প্রায় ৪০,০০০ করে লোক মারা যায়। ২০শ শতকের মধ্যভাগ থেকে দেশটিতে অনেকগুলি বড় আকারের ভূমিকম্প ঘটেছে যাতে হাজার হাজার লোকের প্রাণহানি ঘটেছে। ১৯৯০ সালের জুনে আলবোর্জ ও জগ্রোসের মিলনস্থলে একটি ভয়াবহ ভূমিকম্পে প্রায় ৩৭,০০০ লোক মারা যান। ২০০৩ সালের ডিসেম্বরে দক্ষিণ ইরানে এক ভূমিকম্পে প্রাচীন নগরী বামের অধিকাংশ ধ্বংস হয়ে যায় এবং প্রায় ৩০,০০০ লোক মারা যান। ইরানের অনেকগুলি পর্বত আগ্নেয়। এদের মধ্যে কেবল দামভান্দ পর্বত ও দক্ষিণ-পূর্ব ইরানের কুহে তাফতান সক্রিয় আগ্নেয়গিরি; এদের চূড়ার কাছে কিছু সময় পর পর গ্যাস নিঃসরিত হয়। নদী ও জলাশয় ইরানে অনেক নদী আছে, কিন্তু এগুলির প্রায় সবগুলিই স্বল্পদৈর্ঘ্য ও অগভীর এবং নৌপরিবহনের অযোগ্য। কারণ দেশটির একমাত্র নৌপরিবহনযোগ্য নদী এবং এটি দক্ষিণ-পশ্চিমের আহওয়াজ শহরের ভিতর দিয়ে প্রবাহিত হয়। বেশির ভাগ নদীর উৎপত্তি পার্বত্য অঞ্চলে এবং সমাপ্তি অভ্যন্তরীণ উপত্যকায়। প্রাচীনকাল থেকে ইরানের অধিবাসীরা নদীগুলিকে সেচকাজে ব্যবহার করে আসছে। ২০শ শতকে আব-এ দেজ, কারখেহ, কারুন, সেফিদ রুদ ও অন্যান্য নদীর উপর বাঁধ নির্মাণ করে সেচকাজের পরিধি বাড়ানো হয় এবং জলবিদ্যুৎ উৎপন্ন করা হয়। তিনটি নদী ইরানের আন্তর্জাতিক সীমানায় প্রবাহিত হয়। আরাস নদী আর্মেনীয়া ও আজারবাইজানের সাথে সীমান্তে, শাত-আল আরাব নদী ইরাকের সাথে সীমান্তে প্রবাহিত। ইরান চারটি দেশের সাথে বিশ্বের বৃহত্তম হ্রদ কাস্পিয়ান সাগরের অংশীদার। অনেক ছোট ছোট নোনাপানির হ্রদ ইরানের অভ্যন্তরে অবস্থিত, এদের মধ্যে উত্তর-পশ্চিমের ঊর্মিয়া হ্রদ সবচেয়ে বড়। উঁচু পর্বত উপত্যকা এলাকায় কিছু মিষ্টি পানির হ্রদের দেখা মেলে। তটরেখা ইরানের আন্তর্জাতিক সীমান্তের প্রায় অর্ধেকই তটরেখা। এর মধ্যে আছে কাস্পিয়ান সাগরের তীরে প্রায় ৭৪০ কিমি দীর্ঘ তটরেখা এবং পারস্য উপসাগর ও ওমান উপসাগরের প্রায় ১৭০০ কিলোমিটার দীর্ঘ তটরেখা। কাস্পিয়ান সাগর ও পারস্য উপসাগরে গুরুত্বপূর্ণ বন্দর আছে এবং এলাকাগুলিতে পানির নিচে প্রচুর তেল ও গ্যাস রয়েছে। ইরানের বৃহত্তম পোতাশ্রয় বন্দর-এ আব্বাস হরমুজ প্রণালীতে অবস্থিত। প্রাণী ও উদ্ভিদ ইরানে প্রায় ১০,০০০ প্রজাতির উদ্ভিদ শনাক্ত করা হয়েছে, তবে দেশের অধিকাংশ এলাকায় প্রাকৃতিক বনাঞ্চল উচ্ছেদ করে আবাদী জমি বা পশুচারণভূমিতে পরিণত করা হয়েছে। বনাঞ্চলে বীচ, ওক ও অন্যান্য পর্ণমোচী গাছ এবং এলবুরুজ পর্বত এলাকায় পাইন, ফার-জাতীয় গাছ জন্মে। জাগরোস পর্বতমালার উঁচু এলাকায় ওক অরণ্য দেখা যায়। এলবুরুজ ও জাগরোস পর্বতমালায় বন্য ফলগাছ যেমন কাঠবাদাম, নাশপাতি, ডালিম, আখরোট জন্মে। দেশের ঊষর কেন্দ্রীয় এলাকায় বন্য পেস্তাবাদাম ও অন্যান্য খরা-সহনশীল গাছ জন্মে। দশ্‌ত-এ কবীরের প্রান্তে তামারিস্ক বা চিরহরিৎ ঝাউগাছ জন্মে। ইরানে অনেক স্থানীয় স্তন্যপায়ী, সরীসৃপ, পাখি ও কীটপতঙ্গ রয়েছে। নেকড়ে, শেয়াল, ভালুক, পাহাড়ি ছাগল, লাল পাহাড়ি ভেড়া ও খরগোশ এখনও বংশবিস্তার করে চলেছে। তবে কাস্পিয়ান বাঘ, কাস্পিয়ান সীলমাছ, হরিণের কিছু প্রজাতি, বনবিড়াল, ইত্যাদি হুমকির সম্মুখীন, যদিও এদের রক্ষা করার জন্য বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। ইরানে ৩০০-রও বেশি প্রজাতির পাখি আছে, এদের মধ্যে ২০০-রও বেশি অন্য দেশে অতিথি পাখি হিসেবে বেড়িয়ে আসে। অর্থনীতি ইরানের জিডিপি ৪৩৯.৫ বিলিয়ন USD।ইরানের মাথাপিছু আয় ৫,৪১৫.২১ USD।ইরানের অর্থনীতি বৃহৎ সরকারী ক্ষেত্র সম্বলিত মিশ্র ও ক্রান্তিকালীন অর্থনীতি।বিশ্বের ১০% তেল ও ১৫% গ্যাস সঞ্চয়সহ ইরানকে পরমাণু শক্তিধর বলে গণ্য করা হয়।ইরানের মুদ্রাস্ফীতি হলো ৩০.৪৮৬% (২০১৮)।প্রধান শিল্পসমূহ পেট্রোলিয়াম, পেট্রোকেমিক্যাল, সার, কস্টিক সোডা, গাড়ি উৎপাদন, যন্ত্রাংশ, ফার্মাসিউটিক্যালস, home appliances, বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি, টেলিযোগাযোগ, শক্তি, power, textiles, নির্মাণ, সিমেন্ট এবং অন্যান্য নির্মাণ সামগ্রী, খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ (বিশেষ করে চিনি শোধন ও ভেষজ তেল উৎপাদন), ferrous and non-ferrous metal fabrication, অস্ত্রশিল্প। পর্যটন ইরানের সর্বত্র পর্যটকদের জন্য আকর্ষনীয় অনেক ঐতিহাসিক স্থান আছে। বাম শহরে বিখ্যাত রেশম পথের উপর ২০০৩ সাল পর্যন্তও আর্গ-এ বাম নামে বিশ্বের বৃহত্তম adobe জাতীয় দালানটি অবস্থিত ছিল, তবে দুর্ভাগ্যবশত ২০০৩ সালে এক ভয়াবহ ভূমিকম্পে ২০০০ বছরের পুরনো দালানটি প্রায় পুরো ধ্বংস হয়ে যায়। এই একই ভূমিকম্পে বাম শহরের আরও অনেক প্রাচীন দালানও ধ্বংস হয়। ইরান সরকার এগুলি পুনর্নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছেন। কের্মানশাহ প্রদেশে রয়েছে বেহিস্তুনের শিলালিপি, যাতে পাহাড়ের গায়ে প্রাচীন পারসিক, ব্যাবিলনীয় এবং এলামীয় অক্ষরে অনেক খোদাইকৃত লেখা পাওয়া যায়। গ্রিকেরা ৪০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দেও এই শিলালিপিটির উল্লেখ করেছিল। খুজেস্তান প্রদেশে চোগা জানবিল নামে এলামীয় সভ্যতার একটি প্রাচীন কম্পলেক্স রয়েছে। এটি খ্রিস্টপূর্ব ১৩শ শতকে নির্মিত হয়েছিল বলে ধারণা করা হয়। ইশফাহান শহরের কেন্দ্রস্থলে রয়েছে বিখ্যাত নক্‌শ-ই জাহান ময়দান। এই ময়দান চারপাশ ঘিরে রয়েছে সাফাভিদ রাজত্বের অনেকগুলি প্রাচীন নিদর্শন, যাদের মধ্যে দক্ষিণের শাহ মসজিদটি অন্যতম। শাহ মসজিদের জুম্মা নামাজ এখানেই পড়া হয়। পাসারগাদায়ে একটি প্রাচীন এলামীয় শহরের ধ্বংসাবশেষ। ফার্স প্রদেশে অবস্থিত শহরটি আর্কেমেনীয় পারসীয় সাম্রাজ্যের প্রথম রাজধানী ছিল। এর দক্ষিণ-পশ্চিমে আছে পার্সেপোলিস শহর, যা প্রাচীন পারস্যের বিখ্যাত রাজা দ্বিতীয় কুরোশ খ্রিস্টপূর্ব ৬ষ্ঠ শতকে এটি নির্মাণ করেছিলেন। এই শহরের নানা স্থাপত্যকর্ম ও খোদাইকর্মে প্রাচীন পারসিকদের সংস্কৃতি সম্পর্কে অনেক কিছু জানা যায়। এছাড়াও উত্তর-পশ্চিম ইরানের সোলতানিয়েহ শহরের ধ্বংসাবশেষ, বিশেষত ইল-খান ওলজেইতু-র সমাধিস্তম্ভ দর্শনীয় স্থান। পশ্চিম আজারবাইজান প্রদেশে আছে রাজা সুলায়মানের স্মৃতিবিজড়িত তীর্থস্থান তাখ্‌ত-ই-সুলাইমান। এছাড়াও ফার্স প্রদেশের তাঙ্গে বোলাগি নামের উপত্যকায় খ্রিস্টপূর্ব প্রায় ৫ সহস্রাব্দ প্রাচীন ১৩০টি মনুষ্য বসতির নিদর্শনবিশিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান বিদ্যমান। জনমিতি ২০০৬ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী ইরানের জনসংখ্যা ৭,০০,৪৯,২৬২। এর মধ্যে এক-চতুর্থাংশের বয়স ১৫ বছর বা তার কম। ইরান জাতিগতভাবে ও ভাষাগতভাবে বিচিত্র এক দেশ। কিছু কিছু শহরে, যেমন তেহরানে, বিভিন্ন জাতির লোকের সহাবস্থান পরিলক্ষিত হয়। এছাড়াও ইরানের বাইরে প্রবাসে আরও প্রায় ৪০ লক্ষ ইরানি নাগরিক বসবাস করেন। এরা মূলত উত্তর আমেরিকা, পশ্চিম ইউরোপ, তুরস্ক, পারস্য উপসাগরীয় দেশসমূহ এবং অস্ট্রেলিয়াতে বাস করেন। সিআইএ ফ্যাক্টবুক অনুসারে ইরানের জাতিগুলি এরকম: পারসিক জাতি ৫১%, আজেরি জাতি ২৪%, গিলাকি জাতি ও মাজান্দারানি জাতি ৮%, কুর্দি জাতি ৭%,আরব জাতি ৩%, লুর জাতি ২%, বেলুচি জাতি ২%, তুর্কমেন জাতি ২% এবং অন্যান্য ১% । ধর্ম ইরানের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম এবং রাষ্ট্রীয় মাজহাব ইসনা আশারিয়া জাফরি। এর পাশাপাশি হানাফি, মালিকি, শাফিঈ, হাম্বলি ও জায়েদি মাজহাব দেশটিতে সাংবিধানিকভাবে স্বীকৃত। ইরানের ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ লোক শিয়া মুসলমান। খ্রিষ্টধর্ম, ইহুদিধর্ম ও জরথুস্ত্রবাদ ইরানের স্বীকৃত সংখ্যালঘু ধর্ম এবং এই সম্প্রদায়গুলোর জন্য ইরানি আইনসভায় সংরক্ষিত আসন রয়েছে। ঐতিহাসিকভাবে, প্রাচীন ইরানি ধর্মসমূহ, যেমন: আদি-ইরানি ধর্ম এবং পরবর্তীকালে জরথুস্ত্রবাদ ও ম্যানিকেইজম, ছিল ইরানের প্রভাবশালী ধর্ম, বিশেষত মধ্য, আকামেনীয়, পার্থীয় ও সাসানীয় যুগে। সাসানীয় সাম্রাজ্যের পতন এবং মুসলমানদের ইরান বিজয়ের পরবর্তী শতাব্দীকালীন ইসলামিকীকরণের ফলে তা পরিবর্তিত হয়ে পড়ে। ষোড়শ শতাব্দীতে সাফাভি রাজবংশ কর্তৃক ইরান ও পার্শ্ববর্তী আজারবাইজানকে শিয়া মতবাদে ধর্মান্তরকরণের পূর্বে ইরান ছিল একটি সুন্নিপ্রধান দেশ। বর্তমানে ইরানের ৪ থেকে ৮ শতাংশ লোক সুন্নি মুসলমান, এদের অধিকাংশই কুর্দি ও বেলুচি। বাকি ২% অমুসলিম সংখ্যালঘু খ্রিষ্টান, ইহুদি, বাহাই, মান্দীয়, ইয়েজিদি, ইয়ারসানি, জরথুস্ত্র প্রভৃতি সম্প্রদায়ের লোক। ইরানের বৃহত্তম (স্বীকৃত নয়) সংখ্যালঘু ধর্ম হল ইয়ারসানবাদ। এটি জরথুস্ত্রবাদের সঙ্গে সম্পর্কিত একটি কুর্দি লোকধর্ম যার অনুসারী সংখ্যা প্রায় ৩,০০০,০০০। ইয়ারসানিরা মূলত গোরানি কুর্দি ও নির্দিষ্ট লুরস জনগোষ্ঠীর লোক এবং তাদের বসবাস কুর্দিস্তান, কেরমানশাহ ও লোরেস্তান প্রদেশে। ইরানে ইহুদিধর্মের ইতিহাস বেশ প্রাচীন যা বাবিলের পতনের সময় থেকে শুরু হয়। যদিও বহু ইরানি ইহুদি ইসরায়েল রাষ্ট্রের জন্ম এবং ১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লবের ফলে দেশত্যাগ করেছিল, এখনও ইরানে প্রায় ৮,৭৫৬ থেকে ২৫,০০০ ইহুদি রয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েলের পর ইরানে সর্বাধিক ইহুদি জনবসতি রয়েছে। ইরানে প্রায় ২৫০,০০০ থেকে ৩৭০,০০০ খ্রিস্টান বসবাস করে, এবং খ্রিস্টধর্ম দেশটির বৃহত্তম স্বীকৃত সংখ্যালঘু ধর্ম। ইরানি খ্রিস্টানদের বেশিরভাগই আর্মেনীয় এবং একটি উল্লেখযোগ্য অংশ আসিরীয়। বাহাই ধর্ম ইরানে সরকারিভাবে স্বীকৃত নয় এবং এর অনুসারীরা প্রায়শই রাষ্ট্রীয় নিপীড়নের শিকার হয়। ইউনাইটেড নেশন স্পেশাল র‍্যাপর্টর অন হিউম্যান রাইটস ইন ইরানের মতে, বাহাইরা ইরানের বৃহত্তম অমুসলিম ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায় যাদের সংখ্যা আনুমানিক ৩৫০,০০০। ১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লবের পর থেকে বাহাইদের ওপর নিপীড়ন বেড়ে চলেছে, বিশেষত তাদের নাগরিক অধিকার, উচ্চশিক্ষা এবং কর্মসংস্থান থেকে বর্জন ও প্রত্যাখ্যান করা হচ্ছে। সংস্কৃতি ইরানের সংস্কৃতি, পারস্যের সংস্কৃতি হিসেবেও পরিচিত, বিশ্বের অন্যতম প্রভাব বিস্তারকারী সংস্কৃতি। ইরানকে সভ্যতার দোলনা হিসেবে অভিহিত করা হয়। বিশ্বে ইরানের আধিপত্য বিস্তারকারী ভূ-রাজনৈতিক অবস্থান ও সংস্কৃতির কারণে ইরান পশ্চিমে ইতালি, ম্যাসিডোনিয়া, ও গ্রিস, উত্তরে রাশিয়া ও পূর্ব ইউরোপ, দক্ষিণে আরব উপদ্বীপ এবং পূর্বে ভারত উপমহাদেশ ও পূর্ব এশিয়ার সংস্কৃতি ও জনগণের উপর প্রভাব বিস্তার করে। ইরানের সাংস্কৃতিক পরিচয় ও এর ঐতিহাসিক দীর্ঘস্থায়িত্বের অন্যতম বৈশিষ্ট হল সারগ্রাহী সাংস্কৃতিক স্থিতিস্থাপকতা।শিল্পকলাঃ ইরানের শিল্প-ঐতিহ্য বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন, সমৃদ্ধ ও সবচেয়ে প্রভাব বিস্তারকারী এবং এর আওতায় রয়েছে সাহিত্য, সঙ্গীত, নৃত্য, স্থাপত্যকলা, চিত্রাঙ্কন, বুনন, মৃৎশিল্প, হস্তলিপিবিদ্যা, ধাতব ও পাথুরেকর্ম সহ অসংখ্য শাখা। ইরানি শিল্পকলা একাধিক পর্যায়ের মধ্য দিয়ে বিবর্তিত হয়েছে, যা ইরানের অদ্বিতীয় নান্দনিকতার প্রমাণ। এই পর্যায়সমূহ এলামাইট চোগা জানবিল থেকে শুরু করে মধ্যযুগীয় ও পার্সেপোলিসের হাখমেনীয় কারুশিল্প থেকে বিশাপুরের মোজাইক পর্যন্ত বিস্তৃত। ধর্ম জাফরি শিয়া ইসলাম ১৬শ শতক থেকে ইরানের রাষ্ট্রধর্ম। শিয়া মুসলিমেরা আরব ও মুসলিম বিশ্বের অন্যান্য সুন্নী মুসলিমদের সাথে হযরত মুহাম্মদের উত্তরাধিকারী কে হবেন তা নিয়ে মতভেদ প্রকাশ করেন। ইরানের ১৯৭৯ সালের সংবিধান শিয়া ধর্মগুরুদের সরকারে গুরুত্বপূর্ণ নেতৃত্বমূলক পদে স্থান দেয়। ইরানের প্রায় ৯৩% মুসলিম শিয়া ধর্মাবলম্বী এবং এদের প্রায় সবাই জাফরি শিয়া মতবাদে বিশ্বাসী। জাফরি শিয়ারা মনে করেন মুহাম্মদের ১২ জন উত্তরাধিকারী ইমাম আছেন। ইরানের বাকী জনগণ সুন্নী ধর্মাবলম্বী। অনেক সময় মিশ্র ধর্মের লোক নিয়ে গঠিত শহরে ধর্মীয় উৎসবের সময় ধর্মীয় উত্তেজনা পরিলক্ষিত হয়। সুফিবাদ বা ইসলামী আধ্যাত্ম্যবাদ ইরানীদের মধ্যে জনপ্রিয়। এছাড়াও ইরানে আর্মেনীয় ও আসিরীয় খ্রিস্টান, ইহুদী ও জরথুষ্ট্রবাদীদের ছোট ছোট সম্প্রদায় আছে। ১৯শ শতকে বাহাইবাদের আবির্ভাব ঘটে এবং এর বহু হাজার অনুসারী আছে, যদিও ১৯৭৯ সালে ইসলামী প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পর থেকে এটি সরকারের রোষানলে পড়ে। ভাষা ইরানে মূলত তিনটি ভাষাপরিবারের ভাষা প্রচলিত: ইরানীয় ভাষাসমূহ, তুর্কীয় ভাষাসমূহ এবং সেমিটীয় ভাষাসমূহ।সবচেয়ে বেশি ভাষাভাষীবিশিষ্ট ও ভৌগোলিকভাবে সবচেয়ে বেশি বিস্তৃত হল ইরানীয় ভাষাপরিবারের সদস্য ভাষাগুলি। এদের মধ্যে ফার্সি ভাষা প্রধানতম ভাষা। ফার্সি ইরানের জাতীয় ভাষা। ইরানের ফার্স প্রদেশে প্রচলিত ভাষা থেকে এর উৎপত্তি এবং এর লিখিত ভাষার ইতিহাস ১০০০ বছরেরও বেশি পুরনো। অন্যান্য ইরানীয় ভাষাগুলির মধ্যে পশ্চিম ইরানে কুর্দী ভাষা, উত্তর-পশ্চিমে তাতি ওতালিশি ভাষা, এলবুর্জ পর্বতমালার উত্তরে মাজান্দারানি ও গিলাকি ভাষা, ও দক্ষিণ-পূর্ব ইরানে বেলুচি ভাষা অন্যতম।ইরানে প্রচলিত তুর্কীয় ভাষাগুলির মধ্যে উত্তর-পশ্চিমের আজারবাইজানি ভাষা এবং উত্তর-পূর্বের তুর্কমেন ভাষা প্রধান। এছাড়া ইরানের দক্ষিণ-পশ্চিমে খুজেস্তান প্রদেশে এবং পারস্য উপসাগরের উপকূল ধরে সেমিটীয় ভাষাপরিবারের আরবি ভাষা প্রচলিত। আধুনিক ফার্সি ইরানের সরকারি ভাষা। ফার্সি একটি প্রাচীন সাহিত্যিক ভাষা। ৭ম শতাব্দীতে আরবদের আক্রমণের আগে এটি পাহলভী লিপিতে লেখা হত। ৯ম ও ১০ম শতাব্দীতে ভাষাটি আরবি লিপি ব্যবহার করতে শুরু করে। ১৯৫০ সাল পর্যন্তও কথ্য ফার্সির অনেকগুলি স্বতন্ত্র উপভাষা ছিল, তবে এর পর সরকারি শিক্ষা ও গণমাধ্যমের প্রসারের ফলে একটি মান্য কথ্য ফার্সির উদ্ভব ঘটেছে। এছাড়া কিছু সংখ্যালঘু ভাষাভাষী আছে যাদের নিজস্ব প্রচার মাধ্যম ও প্রকাশনা আছে। এদের মধ্যে তুর্কী ভাষা আজেরি, কুর্দী, আরবি ও আর্মেনীয় প্রধান। চিত্রশালা তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ The President of Iran Iran.ir বিষয়শ্রেণী:এশিয়ার রাষ্ট্র বিষয়শ্রেণী:ইরান বিষয়শ্রেণী:জি১৫ রাষ্ট্র বিষয়শ্রেণী:ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থার সদস্য রাষ্ট্র
ইরান
প্রিমো লেভি (১৯১৯-১৯৮৭) একজন ইতালীয় সাহিত্যিক ও রসায়নবিদ ছিলেন। তিনি ইহুদি বংশোদ্ভূত। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে তিনি নাত্‌সি জার্মানদের কুখ্যাত ক্যাম্প আউশ্‌ভিত্‌সে (Auschwitz) বন্দী ছিলেন, কিন্তু ভাগ্যক্রমে চারপাশের বর্বর হত্যাযজ্ঞ থেকে রক্ষা পেয়ে যান। যুদ্ধের পর তিনি তার অভিজ্ঞতা নিয়ে বই লেখা শুরু করেন। তার গ্রন্থসমূহ নাত্‌সি হত্যাযজ্ঞ (Holocaust) বিষয়ক সাহিত্যে বিশেষ স্থান পেয়েছে। ১৯৮৭ সালে তিনি তার তিন-তলার এপার্টমেন্ট থেকে পড়ে গিয়ে মৃত্যুবরণ করেন। অনেকের মতে তার মৃত্যু ছিল আসলে আত্মহত্যা। বিষয়শ্রেণী:ইতালীয় সাহিত্যিক বিষয়শ্রেণী:ইতালীয় রসায়নবিদ
প্রিমো লেভি
thumb|right|লিওন বাস্ক এর আঁকা আন্দ্রে বেলির ছবি আন্দ্রে বেলি (Andrei Bely; আসল নাম বরিস নিকোলায়েভিচ বুগায়েভ) (অক্টোবর ২৬ ১৮৮০ - জানুয়ারি ৮, ১৯৩৪) রুশ দেশের একজন প্রখ্যাত সাহিত্যিক। তিনি একাধারে উপন্যাস, কবিতা ও সাহিত্য সমালোচনা লিখে গেছেন, যদিও আধুনিক কালে তিনি তার উপন্যাস পিটার্সবুর্গ-এর জন্যই অধিক প্রসিদ্ধ। আন্দ্রে বেলি মস্কোর এক বিশিষ্ট বুদ্ধজীবী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা ছিলেন নামকরা গণিতবিদ। বেলি নিজে সাহিত্য, দর্শন,সঙ্গীত ও গণিতে বিশেষ আগ্রহী ছিলেন। তিনি রুশ প্রতীকীবাদ (Russian Symbolism) নামক শৈল্পিক ধারায় অগ্রগামী ভূমিকা পালন করেন। তার সবচেয়ে সফল সাহিত্যকর্ম পিটার্সবুর্গ একটি প্রতীকী উপন্যাস। একজন বিপ্লবী আততায়ীকে ঘিরে রচিত এই গল্পটি ১৯১৩ সালে প্রকাশিত হয়। অনেক সমালোচকের মতে বইটিতে রুশ বিপ্লব, একদলীয় স্বৈরাচারের উত্থান এবং রাজনৈতিক সন্ত্রাসের পূর্বাভাস লক্ষ করা যায়। নাবোকভ্‌ এই গ্রন্থটিকে শতাব্দীর সেরা চারটি উপন্যাসের অন্যতম বলে গণ্য করতেন। বিষয়শ্রেণী:রুশ সাহিত্যিক বিষয়শ্রেণী:১৮৮০-এ জন্ম বিষয়শ্রেণী:১৯৩৪-এ জন্ম
আন্দ্রে বেলি
পুনর্নির্দেশ রোজা
সাওম
স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র একটি অস্থায়ী বেতার সম্প্রচার কেন্দ্র যা বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধকালে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের ৬ ডিসেম্বর ভারত বাংলাদেশকে সার্বভৌম স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেবার পর এর নাম বদলে বাংলাদেশ বেতার করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের ২২ ডিসেম্বর স্বাধীন বাংলাদেশে ঢাকা থেকে সম্প্রচার শুরু করে বাংলাদেশ বেতার যা এতকাল রেডিও পাকিস্তানের ঢাকা কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত ছিল। মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তিযোদ্ধা ও দেশবাসীর মনোবলকে উদ্দীপ্ত করতে "স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র" অবিস্মরণীয় ভূমিকা রেখেছিল। যুদ্ধের সময়ে প্রতিদিন মানুষ অধীর আগ্রহে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের অনুষ্ঠান শোনার জন্য অপেক্ষা করত। “জয় বাংলা, বাংলার জয়” গানটি এ বেতার কেন্দ্রের সূচনা সঙ্গীত হিসাবে প্রচারিত হতো। প্রতিষ্ঠা ১৯৭১ এর ২৫ মার্চ মধ্য রাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী অপারেশন সার্চলাইটের মাধ্যমে ঢাকা শহরের কয়েক হাজার নিরস্ত্র বাঙালি নিধন করে এবং একই সাথে শেখ মুজিবকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের পূর্বে তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা এবং একটি সংক্ষিপ্ত বার্তা প্রদান করে যান। এরই প্রেক্ষিতে ২৬ মার্চ দুপুর বেলা চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগ নেতা এম এ হান্নান চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ বাদামতলী বেতার কেন্দ্র হতে প্রথমবারের মত স্বাধীনতার ঘোষণা হিসেবে বঙ্গবন্ধুর ঐ বার্তা পাঠ করেন। এর মধ্যেই তৎকালীন চট্টগ্রাম বেতার কেন্দ্রের কয়েকজন বেতারকর্মী সিদ্ধান্ত নেন যে বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে জনগণকে সচেতন ও উদ্বুদ্ধ করতে তারা বেতারের মাধ্যমে কিছু প্রচার করবেন। এ সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে তারা চট্টগ্রাম বেতার কেন্দ্রকে কাজে লাগানোর চিন্তা করেন এবং তার নতুন নাম দেন স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী বেতার কেন্দ্র। তবে তারা নিরাপত্তার কারণে আগ্রাবাদ বাণিজ্যিক এলাকায় অবস্থিত চট্টগ্রাম বেতার কেন্দ্রকে কাজে না-লাগিয়ে শহর থেকে কিছু দূরে কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রে চলে যান এবং ২৬ মার্চ সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটে প্রথম প্রচার করেন স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী বেতার কেন্দ্র থেকে বলছি। সে সময়েই এম এ হান্নান বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণাটি আবার পাঠ করেন। প্রায় ১ ঘণ্টা অনুষ্ঠান করার পর তারা পরদিন সকাল ৭টায় পরবর্তী অনুষ্ঠান প্রচারের ঘোষণা দিয়ে সেদিনের পর্ব শেষ করেন। এরপর তারা ২৭ মার্চ সকালে বেতার কেন্দ্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য পাহারা বসানোর উদ্দেশ্যে পটিয়ায় অবস্থানরত মেজর জিয়ার কাছে এ ব্যাপারে সাহায্য চাইতে যান। সেখান থেকে তারা জিয়াউর রহমানকে সাথে করে কালুরঘাট ফেরত আসেন। সেদিন অর্থাৎ ২৭ মার্চ রাত ৮টায় এক নতুন লিখিত ও সম্প্রসারিত বক্তব্যের মাধ্যমে মেজর জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর পক্ষ থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। এর পরদিন ২৮ মার্চ মেজর জিয়ার অনুরোধে স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী বেতার কেন্দ্র এই নাম হতে বিপ্লবী অংশটি বাদ দেয়া হয় এবং নতুন নামকরণ করা হয় 'স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র'। ২৮ মার্চ প্রথম অধিবেশনে বিমান হামলায় করণীয় সম্পর্কে নির্দেশমালা প্রচারিত হয় এবং দ্বিতীয় অধিবেশনে প্রথম একটি কথিকা পাঠ করা হয়। ৩০ মার্চ প্রভাতী অধিবেশনে প্রথম বারের মত জয় বাংলা, বাংলার জয় গানটি প্রচারিত হয়। ৩০ মার্চ দুপুরের অধিবেশন শেষ হবার পর প্রায় ২টা ১০ মিনিটের দিকে বেতার কেন্দ্রে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী বিমান হামলা করে যার ফলে এ বেতার কেন্দ্রটির কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। এ বিমান হামলায় কেউ হতাহত না হলেও বেতার কেন্দ্র এবং সম্প্রচার যন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর ফলে সেখান থেকে সম্প্রচার চালানো অসম্ভব হয়ে পড়ে। প্রতিষ্ঠাতা দশজন সদস্য দুটি দলে বিভক্ত হয়ে আগরতলা ও ত্রিপুরার বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়েন। ৩১ মার্চ সকালে কয়েকজন বেতারকর্মী বেতার কেন্দ্রে অবস্থিত একটি এক কিলোওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ছোট সম্প্রচার যন্ত্র উদ্ধার করেন। এই সম্প্রচার যন্ত্র সাথে করে নিয়ে তারা ঐদিনই পটিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেন এবং ১ এপ্রিল পটিয়ায় পৌঁছেন। এরপর মূল দলটি ৩ এপ্রিল সম্প্রচার যন্ত্রটি পটিয়ায় রেখে তারা রামগড়ের দিকে রওনা হয়। রামগড়ে পৌঁছে তারা ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স তত্ত্বাবধানে ভারতীয় সীমান্তে অবস্থিত ভারত প্রদত্ত একটি শর্ট ওয়েভ (২০০ ওয়াট শর্টওয়েভ) ট্রান্সমিটার থেকে আবার অনুষ্ঠান সম্প্রচার করেন। তারপর ৪ এপ্রিল তাদের একটি দল এক কিলোওয়াট সম্প্রচার যন্ত্রটি আনার জন্য পটিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেন এবং অপর দল বাগফায় চলে যান। তারা বাগফা হতে ৪-৮ এপ্রিল পর্যন্ত একটি ৪০০ ওয়াট সম্প্রচার যন্ত্র দিয়ে সম্প্রচার চালাতে থাকেন। এরপর ৮ এপ্রিল আবার তারা আগরতলার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন এবং বিভিন্ন স্থান হয়ে ১১ এপ্রিল আগরতলায় পৌঁছান। অন্যদিকে দ্বিতীয় দলটি তখন ১ কিলোওয়াট ট্রান্সমিটারটি নিয়ে ১০ এপ্রিলে বাগফা-বেলোনিয়া সড়কের পাশে বাংলাদেশ সীমান্ত হতে ১০ মাইল দূরে স্থাপন করেন এবং ১২ এপ্রিল তারা সেখান থেকে অনুষ্ঠানও সম্প্রচার করেছিলেন। এ সময় অনুষ্ঠান রেকর্ড করে সম্প্রচার কেন্দ্র থেকে শর্ট ওয়েভে প্রচার করা হতো। এর মধ্যে ১০ এপ্রিল অস্থায়ী বাংলাদেশ সরকার গঠিত হয় এবং প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ ১১ এপ্রিল অল ইন্ডিয়া রেডিও'র শিলিগুড়ি কেন্দ্রকে "স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র" হিসাবে উল্লেখ করে সেখান থেকে ভাষণ প্রদান করেন এবং এরপরেও বেশ কিছুদিন ঐ কেন্দ্র হতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ভাষণসহ আরো নানাবিধ অনুষ্ঠান প্রচারিত হয়। এরপর ১৬ এপ্রিল জনগণের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক নির্দেশিত ঘোষণা ও আদেশপত্র পাঠ করা হয়। এরপর সেখানে কয়েকদিন অনিয়মিতভাবে সম্প্রচার চলেছে। আনুষ্ঠানিক যাত্রা ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের ১০ এপ্রিল মুজিবনগর সরকার গঠনের পর মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে বাংলাদেশ সরকার ও বেতারকেন্দ্রের কর্মীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে ভারত সরকার বাংলাদেশ সরকারকে একটি শক্তিশালী ট্রান্সমিটার (৫০ কিলোওয়াট মিডিয়াম ওয়েভ) প্রদান করে। এসময় সকল বেতারকর্মীদের ধীরে ধীরে মুজিবনগরে নিয়ে আসা হতে থাকে। ঢাকা থেকেও ঢাকা বেতারের শিল্পী-কু ওরশলীরাও আসতে থাকেন। প্রথম অধিবেশনের দিন ধার্য করা হয় কবি নজরুল ইসলামের জন্মবার্ষিকী ১১ জ্যৈষ্ঠ তথা ২৫ মে তারিখ। কলকাতার বালিগঞ্জ সার্কুলার রোডের ৫৭/৮নং দোতলা বাড়িটিতে রাষ্ট্রপতি ও অন্যান্য মন্ত্রীদের আবাসের কক্ষের সাথের একটি কক্ষে উক্ত ট্রান্সমিটার দিয়ে সম্প্রচার শুরু হয়েছিল। রাষ্ট্রপতি ও মন্ত্রীরা অন্য বাড়িতে উঠে যাওয়ার পর সেই ৫৭/৮ নম্বর বাড়িটিই স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের স্থায়ী কার্যালয়রূপে গড়ে ওঠে। এরপর থেকে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের অনুষ্ঠান নিয়মিতভাবে সম্প্রচারিত হতে থাকে। এই কেন্দ্র দুটি ট্রান্সমিটারের মাধ্যমে পরিচালিত হতো। বেতার কেন্দ্রের প্রশাসনিক গঠন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের প্রতিটি কাজের সাথে যুক্ত ছিলেন অসংখ্য নিয়মিত ও অনিয়মিত শিল্পী এবং কলাকুশলী। এখানে তাদের একটি তালিকা দেয়া হলো বিভিন্ন পদে নিয়োজিত কর্মকর্তা ও কুশলীগণঃ এছাড়া আরো ছিলেন। গীতিকারঃ- সিকান্দার আবু জাফর, আবদুল গাফফার চৌধুরী, নির্মলেন্দু গুণ, আসাদ চৌধুরী, টি এইচ শিকদার প্রমুখ। শিল্পীঃ- সমর দাস, আবদুল জব্বার, আপেল মাহমুদ, রথীন্দ্রনাথ রায়, অরুন গোস্বামী, মান্না হক, মাধুরী চ্যটার্জী, এম চান্দ, ইয়ার মোহাম্মদ, প্রবাল চৌধুরী, কল্যাণী ঘোষ, উমা খান, নমিতা ঘোষ, স্বপ্না রায়, জয়ন্তী লালা, অজিত রায়, সুবল দাশ, কাদেরী কিবরিয়া, লাকি আখন্দ, ইন্দ্রমোহন রাজবংশী, বুলবুল মহালনবীশ,ফকির আলমগীর, মকসুদ আলী সাই, তিমির নন্দী, মিতালী মূখার্জী, মলয় গাঙ্গুলী, রফিকুল আলম প্রমুখ। সঙ্গীত রচনা:- প্রনোদিত বড়ুয়া। যন্ত্র সঙ্গীতঃ- শেখ সাদী, সুজেয় শ্যাম, কালাচাঁদ ঘোষ, গোপী বল্লভ বিশ্বাস, হরেন্দ্র চন্দ্র লাহিড়ী, সুবল দত্ত, বাবুল দত্ত, অবীনাশ শীল, সুনীল গোস্বামী, তড়িৎ হোসেন খান, দিলীপ দাশ গুপ্ত, দিলীপ ঘোষ, জুলু খান, রুমু খান, বাসুদেব দাশ, সমীর চন্দ, শতদল সেন প্রমুখ। ঘোষকঃ- শেখ সাদী, শহিদুল ইসলাম, মোতাহের হোসেন, আশরাফুল আলম, অনিল কুমার, আবু ইউনুছ, জাহেদ সিদ্দিকী, মনজুর কাদের। গ্রন্থাগারিক:- রঙ্গলাল দেব চৌধুরী। স্টুডিও কর্মকর্তাঃ- এস এম সাজ্জাদ। নিয়মিত সম্প্রচারসমূহ স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কিছু নিয়মিত অনুষ্ঠান হলো পবিত্র কোরআনের বাণী, চরমপত্র, মুক্তিযুদ্ধের গান, যুদ্ধক্ষেত্রের খবরাখবর, রণাঙ্গনের সাফল্যকাহিনী, সংবাদ বুলেটিন, ধর্মীয় কথিকা, বজ্রকণ্ঠ, নাটক, সাহিত্য আসর এবং রক্তের আখরে লিখি। সবচেয়ে জনপ্রিয় ছিল অনুষ্ঠান এম আর আখতার মুকুল উপস্থাপিত চরমপত্র। এখানে তিনি পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর অসংলগ্ন অবস্থানকে পুরনো ঢাকার আঞ্চলিক ভাষার সংলাপে তুলে ধরতেন। চরমপত্রের পরিকল্পনা করেন আবদুল মান্নান। আরেকটি জনপ্রিয় অনুষ্ঠান জল্লাদের দরবার পরিচালনা করতেন কল্যাণ মিত্র। অনুষ্ঠানটিতে ইয়াহিয়া খানকে “কেল্লা ফতে খান” হিসেবে ব্যঙ্গাত্মকভাবে ফুটিয়ে তোলা হত। “বজ্র কণ্ঠ” অনুষ্ঠানে শেখ মুজিবর রহমানের ভাষণের অংশবিশেষ সম্প্রচার করা হত। বেতার কেন্দ্রে তরুণ শিল্পীরা দেশাত্মবোধক ও অনুপ্রেরণাদায়ক গান করতেন। সম্প্রচারের জন্য এসময় অনেক গান ও কবিতা লেখা হয়। কেন্দ্রের গায়কেরা পশ্চিম বঙ্গের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গান গেয়ে যুদ্ধকালীন সময়ে তহবিল সংগ্রহ করেন। এছাড়াও বেতার কেন্দ্র থেকে বাংলা, ইংরেজি ও উর্দুতে সংবাদ সম্প্রচার করা হত। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র আহ্বায়ক কমিটির সভাপতি কামাল লোহানী বলেন, "আমাদের জন্য বেতার ছিল মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধক্ষেত্র, যার মাধ্যমে আমরা জনগণের সাহস বাড়াতে সহায়তা করি"। জনপ্রিয় কিছু অনুষ্ঠান ও তাদের নেপথ্যের কুশলীরা জনপ্রিয় কয়েকটি গান স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের অনেক গান বিপুল জনপ্রিয়তা লাভ করে।এখানে জনপ্রিয় গানগুলোর গীতিকার, সুরকার ও শিল্পীদের নাম উল্লেখ করা হল। তথ্যসূত্র গ্রন্থসূত্র স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের ইতিহাস, সম্পাদকঃ ডঃ জাহিদ হোসেন প্রধান, ইত্যাদি গ্রন্থ প্রকাশ, ২০০৫, ঢাকা। isbn=৯৮৪ ৮৫১ ৭৭২৩ বহিঃসংযোগ www.swadhinbangla-betar.org স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের ওয়েবসাইট স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কর্মীদের আলোকচিত্র বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশের গণমাধ্যম বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশের রেডিও স্টেশন বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশের ইতিহাস
স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র
শালবন বৌদ্ধ বিহার বাংলাদেশের প্রাচীন সভ্যতার নিদর্শনগুলোর মধ্যে অন্যতম। কুমিল্লা জেলার লালমাই-ময়নামতি প্রত্নস্থলের অসংখ্য প্রাচীন স্থাপনাগুলোর একটি এই বৌদ্ধ বিহার । এটি ১২শ প্রত্নতাত্ত্বিক এলাকা হিসেবে চিহ্নিত। অবস্থান কুমিল্লার ময়নামতিতে খননকৃত সব প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনের মধ্যে শালবন বিহার অন্যতম প্রধান। কোটবাড়িতে বার্ডের কাছে লালমাই পাহাড়ের মাঝামাঝি এলাকায় এ বিহারটির অবস্থান। বিহারটির আশপাশে এক সময় শাল-গজারির ঘন বন ছিল বলে এ বিহারটির নামকরণ হয়েছিল শালবন বিহার। এর সন্নিহিত গ্রামটির নাম শালবনপুর। এখনো ছোট একটি বন আছে সেখানে। এ বিহারটি পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহারের মতো হলেও আকারে ছোট। নির্মাণ ধারণা করা হয় যে খৃস্টীয় সপ্তম শতাব্দীর শেষ থেকে অষ্টম শতাব্দীর প্রথম ভাগে দেববংশের চতুর্থ রাজা শ্রীভবদেব এ বৌদ্ধ বিহারটি নির্মাণ করেন। শালবন বিহারের ছয়টি নির্মাণ ও পুনর্নির্মাণ পর্বের কথা জানা যায়। খৃস্টীয় অষ্টম শতাব্দীর মধ্যে তৃতীয় পর্যায়ে কেন্দ্রীয় মন্দিরটি নির্মাণ করা হয় ও বিহারটির সার্বিক সংস্কার হয় বলে অনুমান করা হয়। চতুর্থ ও পঞ্চম পর্যায়ের নির্মাণকাজ ও সংস্কার কাজ সম্পন্ন হয় নবম-দশম শতাব্দীতে। বর্ণনা আকারে এটি চৌকো। শালবন বিহারের প্রতিটি বাহু ১৬৭.৭ মিটার দীর্ঘ। বিহারের চার দিকের দেয়াল পাঁচ মিটার পুরু। কক্ষগুলো বিহারের চার দিকের বেষ্টনী দেয়াল পিঠ করে নির্মিত। বিহারে ঢোকা বা বের হওয়ার মাত্র একটাই পথ ছিল। এ পথ বা দরজাটি উত্তর ব্লকের ঠিক মাঝামাঝি স্থানে রয়েছে। প্রতিটি কক্ষের মাঝে ১.৫ মিটার চওড়া দেয়াল রয়েছে। বিহার অঙ্গনের ঠিক মাঝে ছিল কেন্দ্রীয় মন্দির। right|thumb|শালবন বৌদ্ধ বিহার কক্ষ বিহারে সর্বমোট ১৫৫টি কক্ষ আছে। কক্ষের সামনে ৮.৫ ফুট চওড়া টানা বারান্দা ও তার শেষ প্রান্তে অনুচ্চ দেয়াল। প্রতিটি কক্ষের দেয়ালে তিনটি করে কুলুঙ্গি রয়েছে। কুলুঙ্গিতে দেবদেবীর মূর্তি, তেলের প্রদীপ ইত্যাদি রাখা হতো। এই কক্ষগুলোতে বৌদ্ধ ভিক্ষুরা থাকতেন। সেখানে বিদ্যাশিক্ষা ও ধর্মচর্চা করতেন হলঘর বিহারের বাইরে প্রবেশদ্বারের পাশে দক্ষিণ-পূর্ব কোণে একটি হলঘর রয়েছে। চার দিকের দেয়াল ও সামনে চারটি বিশাল গোলাকার স্তম্ভের ওপর নির্মিত সে হলঘরটি ভিক্ষুদের খাবার ঘর ছিল বলে ধারণা করা হয়। হলঘরের মাপ ১০ মিটার গুণন ২০ মিটার। হলঘরের চার দিকে ইটের চওড়া রাস্তা রয়েছে। প্রত্নতাত্ত্বিক খনন প্রত্নতাত্ত্বিক খননের মাধ্যমে বিহারটির ধ্বংসাবশেষ থেকে আটটি তাম্রলিপি, প্রায় ৪০০টি স্বর্ণ ও রৌপ্য মুদ্রা, অসংখ্য পোড়া মাটির ফলক বা টেরাকোটা, সিলমোহর, ব্রোঞ্জ ও মাটির মূর্তি পাওয়া গেছে। এগুলো বাংলাদেশের প্রাচীন প্রত্নতাত্ত্বিক ঐতিহ্যের স্বাক্ষর বহন করছে। গ্রন্থপঞ্জী ইফফাত আরা, ‌‌জানার আছে অনেক কিছু‌‌, ১৯৯৯, দেশ প্রকাশন, ঢাকা। এ, কে, এম, শামসুল আলম, ‌‌ময়নামতি, ১৯৭৬, ডিপার্টমেন্ট অফ আর্কিওলজি এন্ড মিউজিয়াম, ঢাকা। মোঃ শফিকুল আলম, ''এক্সভেশান এট রুপবনমুরা‌‌, ২০০০, ডিপার্টমেন্ট অফ আর্কিওলজি এন্ড মিউজিয়াম, ঢাকা। আরও দেখুন বাংলাদেশের প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানের তালিকা তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ i বিষয়শ্রেণী:ভারতীয় উপমহাদেশের প্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয় বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশের বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশে বৌদ্ধ মঠ বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশের বিহার বিষয়শ্রেণী:কুমিল্লা জেলার দর্শনীয় স্থান বিষয়শ্রেণী:কুমিল্লা জেলার প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা
শালবন বৌদ্ধ বিহার
ইংরেজি পোল স্টার(Pole star)। পৃথিবীর উত্তর মেরুর অক্ষ বরাবর দৃশ্যমান তারা ধ্রুবতারা নামে পরিচিত। এই তারাটি পৃথিবীর অক্ষের উপর ঘূর্ণনের সাথে প্রায় সামাঞ্জস্যপূর্ণভাবে আবর্তিত হয়। প্রাচীন কালে দিক নির্ণয় যন্ত্র আবিস্কারের পূর্বে সমূদ্রে জাহাজ চালাবার সময় নাবিকরা এই তারার অবস্থান দেখে দিক নির্ণয় করতো।সপ্তর্ষী মন্ডল এর প্রথম দুটি তারা, পুলহ এবং ক্রতু-কে সরলরেখায় বাড়ালে সেটি এ তারাটিকে নির্দেশ করে। এটি লঘু সপ্তর্ষী মন্ডলে দেখা যায়। রাত বাড়ার সাথে সাথে আকাশের দৃশ্যমান সকল তারা তাদের অবস্থান পরিবর্তন করে । শুধুমাত্র ধ্রুবতারাই মোটামুটি একই স্থানে অবস্থান (দৃশ্যত) থাকে । এটি আকাশের একমাত্র তারা, যেটিকে এ অঞ্চল হতে বছরের যে কোন সময়েই ঠিক এক জায়গায় দেখা যায়। পৃথিবীর উত্তর গোলার্ধ থেকে ধ্রুবতারাকে সারাবছরই আকাশের উত্তরে নির্দিষ্ট স্থানে দেখা যায়। দিক নির্ণয়ে এই তারা গুরুত্বপূর্ণ। ধ্রুবতারাকে বেশি উঁচুতে দেখা যায় না। ঢাকা থেকে ধ্রুব তারার উচ্চতা ২৩ ডিগ্রি ৪৩ মিনিট। দিগ্বলয় থেকে আকাশের প্রায় চারভাগের একভাগ উঁচুতেই এই তারাটির মতো উজ্জ্বল আর কোনো তারা নেই বলে একে চিনতে বিশেষ অসুবিধা হয় না। তবে বাংলাদেশ থেকে যতই উত্তরে যাওয়া যাবে, ধ্রুবতারা ততই ওপরে দেখা যাবে। তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:জ্যোতির্বিজ্ঞান
ধ্রুবতারা
পঞ্চপদী ছড়া বা লিমেরিক (Limerick)' হল পদ্যের এক বিশেষ ধরনের রচনা শৈলী, যা সাধারণত ৫টি চরণে হয়। মিলের বিন্যাস : ক ক খ খ ক। ৩য় ও ৪র্থ পঙ্‌ক্তি অন্যগুলোর চেয়ে মাপে ছোট হয়। ইংরেজি নার্সারী রাইম থেকে এর উৎপত্তি। সাধারণত পঞ্চপদী ছড়ার বক্তব্য অর্থবোধক হয় না। এই ছড়া সমূহ কখনো হাস্যরসাত্মক, আবার কখনো সীমা লঙ্ঘন করে থাকে। ইতিহাস পদ্যের এই ধরনের উৎপত্তি আঠারো শতকের প্রারম্ভে ইংল্যান্ডে। উনিশ শতকে এই ধারাটি জনপ্রিয় করে তুলেন এডওয়ার্ড লেয়ার, যদিও তিনি এই শব্দটির ব্যবহার করেন নি। সর্ববৃহৎ এবং সবচেয়ে তথ্যসমৃদ্ধ কবিতা ও শ্লোক সংকলনের সম্পাদক গার্শন লেগম্যান মনে করেন লোক সাহিত্য হিসেবে সত্যিকারের পঞ্চপদী ছড়া সবসময় অশ্লীল। এছাড়া আর্নল্ড বেনেট ও জর্জ বার্নার্ড শও বলেন পঞ্চপদী ছড়াসমূহ খুব অল্পই মাঝারি মানের উপরে যেতে পেরেছে। লোক সাহিত্যের দৃষ্টিকোণ থেকে, এই ধারাটি বরাবরই সীমা লঙ্ঘন করে থাকে, অর্থাৎ নিষিদ্ধ বিষয়সমূহের নিয়ম লঙ্ঘন করাই এর কাজ। লেয়ার ছিলেন এই ধারার সৃজনশীল ব্যতিক্রম, যিনি অতিরিক্ত সীমা লঙ্ঘন না করে ব্যঙ্গ করতেন। তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ লিমারিকের ব্যাপারে বিশদ ও যথাযথ বর্ণনা বিষয়শ্রেণী:ইংরেজি সাহিত্য
পঞ্চপদী ছড়া
বাংলা বাংলাদেশের একটি বহুল জনপ্রিয় ব্যান্ড। তারা মূলত আধুনিক সঙ্গীত-সরঞ্জামের সমন্বয়ে গ্রাম-বাংলার সনাতন বাউল সঙ্গীত গেয়ে থাকেন। ব্যান্ডের প্রধান গায়িকা আনুশেহ্‌ আন্‌দিল এর মতে বাংলা হচ্ছে 'নকল বাউল'। তাদের প্রথম এলবাম কিংকর্তব্যবিমূঢ় বাংলাদেশের শহুরে তরুনসমাজের কাছে বেশ জনপ্রিয়তা পায়। বর্তমানে বাউল-ফিউশন সঙ্গীতের যে ধারা দেশে প্রচলিত হয়েছে, বাংলা সেই ধারার অগ্রভাগে রয়েছে। বাংলা বিদেশেও অনেকবার অনুষ্ঠান করেছে।প্রখ্যাত ঢোল-বাদক নজরুল প্রায়শই ব্যান্ডের সাথে বাজিয়ে থাকেন। আনুশে ও বুনো সম্পর্কে স্বামী-স্ত্রী হন।২০১১ সালে ভারতের দ্য মেমোরিয়াল অ্যাওয়ার্ড ফর ইয়াং সাউথ এশিয়ানস (মিতো) অ্যাওয়ার্ড জিতেছেন আনুশেহ আনাদিল। ব্যান্ডের সদস্যবৃন্দ আনুশেহ (ভোকাল) বুনো (গিটার) অর্ণব (ভোকাল ও গিটার) কার্তিক নজরুল (ঢোল) প্রকাশিত অ্যালবাম কিংকর্তব্যবিমূঢ় প্রত্যুতপন্নমতিত্ব উল্লেখযোগ্য গান তোমার ঘরে বাস করে রাত পোহালে পাখি বলে ঘাটে লাগাইয়া ডিঙ্গা নামাজ আমার হইলো না আদায় কৃষ্ণ পক্ষ কালো পক্ষ কালারে কইরো গো  মানা তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ বাংলা ব্যান্ডের দাপ্তরিক ওয়েবসাইট বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশের ব্যান্ড বিষয়শ্রেণী:বাংলা ব্যান্ড
বাংলা (ব্যান্ড)
কুরিয়াম (ইংরেজি: Curium) পর্যায় সারণীর ৯৬তম মৌলিক পদার্থ। কুরিয়াম এর আণবিক সংকেত Cm। আবিষ্কার সাধারণ বৈশিষ্ট্য আইসোটোপ যৌগসমূহ ব্যবহার নিবন্ধের উৎস উচ্চ মাধ্যমিক রসায়ন প্রথম পত্র - প্রফেসর মো. মহির উদ্দিন, লায়লা মুসতারিন, ড. তানভীর মুসলিম, হাছিনা বেগম। উচ্চ মাধ্যমিক রসায়ন প্রথম পত্র - ড. সরোজ কান্তি সিংহ হাজারী, হারাধন নাগ। ব্রিটানিকা বিশ্বকোষ (Encyclopedia Britannica) আরও দেখুন মৌলিক পদার্থ পর্যায় সারণী ট্রান্সইউরেনিয়াম মৌল তেজস্ক্রিয়তা বিষয়শ্রেণী:মৌলিক পদার্থ বিষয়শ্রেণী:অ্যাক্টিনাইড
কুরিয়াম
সাপ হাত-পাবিহীন দীর্ঘ, মাংসাশী, ধূর্ত এক প্রকার সরীসৃপ যা পা-বিহীন টিকটিকি থেকে স্বতন্ত্র তাদের চোখের পাতা এবং বহিকর্ণ না থাকায়। বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস অনুযায়ী, প্রাণী জগৎ (প্রাণী) জগতের, কর্ডাটা (কর্ডটা) পর্বের, Vertebrata (মেরুদণ্ডী) উপপর্বের, Sauropsida (সরোপ্সিডা) শ্রেণীর (শল্ক বা আঁশযুক্ত), Squamata (স্কোয়ামান্টা) বর্গের, Serpentes (সার্পেন্টেস) উপবর্গের সদস্যদের সাপ বলে অভিহিত করা হয়। Squamata (স্কোয়ামান্টা) বর্গের সকলের মতো এক্টোথার্মিক [from the Greek ἐκτός (ektós) "outside" and θερμός (thermós) "hot"), একটি অংশ যাতে অভ্যন্তরীণ তাপ উতপন্নকারী জৈবিক উতস রয়েছে] এখন পর্যন্ত যতোদূর জানা যায়, সাপের সর্বমোট ১৫টি পরিবার, ৪৫৬টি গণ, এবং ২,৯০০টিরও বেশি প্রজাতি রয়েছে। সুদূর উত্তর গোলার্ধের স্কান্ডিনেভিয়া থেকে দক্ষিণে একেবারে অস্ট্রেলিয়া পর্যন্ত এদের বসবাসের বিস্তৃতি। অ্যান্টার্কটিকা ছাড়া সকল মহাদেশেই সাপের উপস্থিতি দেখা যায়, তা হতে পারে সমুদ্রের গভীরতম তলদেশে অথবা পর্বতের সুউচ্চ শানুদেশে প্রায় ষোলো হাজার ফিট (৪,৯০০ মি) ওপরে হিমালয় পর্বতমালাতেও। আবার আশ্চর্যের ব্যাপার এমন কিছু দ্বীপ বা দ্বীপপুঞ্জ আছে যেখানে সাপের দেখা পাওয়া যায় না। যেমন আয়ারল্যান্ড, আইসল্যান্ড এবং নিউজিল্যান্ড (যদিও নিউজিল্যান্ড এর জলে পেটের কাছে হলুদ রঙ্ এমন সামুদ্রিক সাপ আর ডোরাকাটা সামুদ্রিক ক্রেইট এর দেখা পাওয়া যায়)। এদের আকার কখনও খুব ছোট, ১০ সে.মি. (থ্রেড সাপ) থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ২৫ ফুট বা ৭.৬ মিটার (অজগর ও অ্যানাকোন্ডা) পর্যন্ত হতে পারে। সম্প্রতি আবিষ্কৃত টাইটানোবোয়া (Titanoboa) সাপের জীবাশ্ম প্রায় ১৩ মিটার বা ৪৩ ফুট লম্বা। বিষধরদের জন্য বিখ্যাত হলেও বেশীরভাগ প্রজাতির সাপ বিষহীন এবং যেগুলো বিষধর সেগুলোও আত্মরক্ষার চেয়ে শিকার করার সময় বিভিন্ন প্রাণীকে ঘায়েল করতেই বিষের ব্যবহার বেশি হয়। কিছু মারাত্মক বিষধর সাপের বিষ মানুষের মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুকি বা মৃত্যুর কারণ ঘটায়। অনেক সময় সাপের বিষ মানুষের উপকারে আসে, যা বিভিন্ন রোগের ঔষধ হিসাবে ব্যবহৃত হয়। ব্যুৎপত্তি ইংরেজি snake শব্দটি এসেছে প্রাচীন ইংরেজি sanca থেকে, যা এসেছে প্রোটো জার্মানিক *sank-an- (cf. জার্মান Schnake "ring snake", এবং সুইডিশ snok "grass snake" থেকে। এছাড়া প্রোটো-ইন্দো-ইউরোপিয়ান শাখা (s)nēg-o- "to crawl, creep" (বুকে হাঁটা); এখান থেকে এসেছে এর সংস্কৃত নাম nāgá বা সাপ। সাপের অন্য একটি নাম serpent, একটি ফরাসি শব্দ, এটি এসেছে ইন্দো-ইউরোপিয়ান *serp- to creep এবং এখান থেকেই এসেছে সাপের গ্রীক নাম érpein (ερπω) ও সংস্কৃত নাম সর্প। বিবর্তন সাপের জীবাশ্ম (fossil) পাওয়া খুব দুরূহ, কারণ সাপের কঙ্কাল ছোটো এবং ভঙ্গুর, যার ফলে অশ্মীভবন (fossilization) খুব একটা হয় না। যদিও দক্ষিণ আমেরিকা ও আফ্রিকায় পাওয়া ১৫ কোটি বছরের পুরোনো নমুনা থেকে সাপের অস্তিত্ত্ব বোঝা যায়, যেটার গঠন বর্তমানকালের গিরগিটির মতো। তুলনামূলক শারীরস্থানবিদ্যার ওপর ভিত্তি করে এই ঐকমত্যে পৌঁছানো গেছে যে গিরগিটি থেকেই সাপের উৎপত্তি। শ্রেণীবিন্যাস লিলিয়ান শ্রেণীবিন্যাসে আধুনিক কালের সকল সাপ স্কোয়ামান্টা বর্গের সার্পেন্টেস উপশ্রেণীভুক্ত, যদিও স্কোয়ামান্টার ভেতর তাদের রাখার বিষয়টি বিতর্কিত। সার্পেন্টেস বর্গের দুটি অধিবর্গ রয়েছে: Alethinophidia (অ্যালিথিনোফিডিয়া) ও Scolecophidia (স্কোলেকোফিডিয়া)। শারীস্থানিক বৈশিষ্ট্য ও মাইটোকন্ড্রিয়াল ডিএনএ-এর সদৃশ্যতার ওপর ভিত্তি করে এই পৃথকীকরণ করা হয়েছে। সাম্প্রতিককালে কলুব্রইডে (কলুব্রয়েড সাপ) ও অ্যাক্রোকরডিডস অন্তর্ভুক্ত হওয়ার কারণে, অ্যালিথিনোফিডিয়াকে মাঝে-মধ্যে হেনোফিডিয়া ও সেনোফিডিয়া-এই দুভাগে ভাগ করা হয়। এছাড়া অন্যান্য অ্যালিথিনোফিডিয়ান পরিবার হেনোফিডিয়ার অন্তর্ভুক্ত। যদিও এখন অস্তিত্ত্ব নেই, কিন্তু Madtsoiidae (ম্যাডসোইডে) নামক পরিবারের বৃহৎ, আদিম, এবং অনেকটা অজগরের মতো দেখতে সাপের অস্তিত্ত্ব প্রায় ৫০,০০০ বছর আগে অস্ট্রেলিয়াতে ছিলো বলে জানা যায়, যার অনেকগুলো গণের মধ্যে একটা হচ্ছে ওনাম্বি। স্থান দেওয়া-না দেওয়া নিয়ে বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে যথেষ্ট বিতর্ক রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, বিভিন্ন সূত্রে Boidae (বোইডে) ও Pythonidae (পাইথনিডে)-কে একই পরিবারভুক্ত হিসেবে শ্রেণীবিন্যাসে উল্লেখ করেছে। পরিবার মানুষের সাথে সংশ্লিষ্টতা সর্পদংশন thumb|left|যদিও বিষধর নয়, তবুও গ্রীন ট্রি অজগর (Morelia viridis) কামড় দেবার ক্ষমতা রাখে। সাপ প্রকৃতপক্ষে মানুষ শিকার করে না এবং সাপকে কোনো কারণে উত্তেজিত করা না হলে বা সাপ আঘাতগ্রস্থ না হলে তারা মানুষের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলে। ব্যাতিক্রম ছাড়া কনস্ট্রিক্টর ও বিষহীন সাপগুলো মানুষের জন্য কোনো হুমকি নয়। বিষহীন সাপের কামড় মানুষের জন্য ক্ষতিকর নয়, কারণ তাদের দাঁত মূলত কোনো কিছ আঁকড়ে ধরা ও ধরে রাখার মতো। বর্ষার পানি মাটির গর্তে ঢুকলে বেঁচে থাকার জন্য সাপ বের হয়ে আসে এবং মানুষকে দংশন করতে পারে। বিষধর সাপ দংশনের লক্ষণগুলো হচ্ছে­ বমি, মাথাঘোরা, কামড়ানোর স্খানে ফোলা, রক্তচাপ কমে যাওয়া, চোখে ডাবল দেখা, ঘাড়ের মাংসপেশী অবশ হয়ে ঘাড় পেছনের দিকে হেলে পড়া। এমন হলে রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করাতে হবে। হাসপাতালে নেয়ার আগে আক্রান্ত জায়গা নাড়াচাড়া করা যাবে না। হাত বা পায়ে কামড় দিলে হাতের পেছনের দিকে কাঠ বা বাঁশের চটা বা শক্ত জাতীয় কিছু জিনিস রেখে শাড়ির পাড় বা পরিষ্কার কাপড় দিয়ে স্প্লিন্ট তৈরি করে বেঁধে দিতে হবে। আক্রান্ত জায়গা কাপড় দিয়ে মুড়িয়ে দিতে হবে। লক্ষ রাখবেন বেশি টাইট করে বাঁধা যাবে না। বাঁধলে রক্ত সরবরাহ ব্যাহত হয়ে গ্যাংগ্রিন হতে পারে। বিষ শিরা দিয়ে নয়, লসিকাগ্রন্থি দিয়ে শরীরে ছড়ায়। সাপে কাটা রোগীকে ওঝা-বৈদ্য বা কবিরাজ না দেখিয়ে বিজ্ঞানসম্মত আধুনিক চিকিৎসার জন্য নিকটস্খ হাসপাতালে নিয়ে যান। আক্রান্ত জায়গায় কাচা ডিম, চুন, গোবর কিছুই লাগাবেন না। এতে সেল্যুলাইটিস বা ইনফেকশন হয়ে রোগীর জীবনহানি ঘটতে পারে। তথ্যসূত্র আরো পড়ুন Da Nóbrega Alves RR, Da Silva Vieira WL, Gomes Santana G. 2008. Reptiles used in traditional folk medicine: conservation implications. Biodiversity and Conservation vol. 17(8): 2037-2049. Summary at SpringerLink. Accessed 22 January 2009. বহিঃসংযোগ বিশ্বব্যাপী সাপের প্রজাতির তালিকা বায়োডাইভার্সিটি হেরিটেজ লাইব্রেরি সাপের জন্য সমন্বিত শ্রেণীবিন্যাসের তথ্য ব্যবস্থা (USDA) আমেরিকার ইনেচার-এ দেখুন সাপ ভারতীয় উপমহাদেশের সাপ ইউরোপের সাপ – সাপের বিভিন্ন রকমের চিত্র বিষধর সাপের ব্যাপারে তথ্য স্নেক সেল – সাপ রক্ষার একটি সংগঠণ (ভারত) সর্পবিশ্ব – বিভিন্ন প্রকারের সাপ সাপ কী? সাপ শনাক্তকরণের হাতিয়ার (OPLIN) সুইডেনের প্রাকৃতিক ইতিহাস জাদুঘরের হার্পিটোলজি ডেটাবেজ বিষয়শ্রেণী:সাপ
সাপ
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) বাংলাদেশের বাণিজ্যিক রাজধানী ও দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর চট্টগ্রামের স্থানীয় সরকার সংস্থা, যা সার্বিকভাবে চট্টগ্রাম মহানগরীর পরিচালনের দায়িত্ব পালন করে থাকে। আয়তন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মোট আয়তন ১৬০.৯৯ বর্গ কিলোমিটার। জনসংখ্যা ২০০১ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মোট জনসংখ্যা ২০,৬৮,০৮২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১১,৬৩,৬৭৬ জন এবং মহিলা ৯,০৪,৪০৬ জন। অবস্থান ও সীমানা বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাংশে ২২°১৩' থেকে ২২°২৭' উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯১°৪০' থেকে ৯১°৫৩' পূর্ব দ্রাঘিমাংশ জুড়ে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের অবস্থান। এর দক্ষিণে আনোয়ারা উপজেলা; পূর্বে পটিয়া উপজেলা, বোয়ালখালী উপজেলা ও রাউজান উপজেলা; উত্তরে হাটহাজারী উপজেলা ও সীতাকুণ্ড উপজেলা এবং পশ্চিমে সীতাকুণ্ড উপজেলা ও বঙ্গোপসাগর অবস্থিত। ইতিহাস ১৮৬৩ সালের ২২ জুন 'চট্টগ্রাম মিউনিসিপ্যালিটি' গঠিত হয়। ১৯৮৪ সালে এর প্রশাসন ও কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ১৮ জন কমিশনারের সমন্বয়ে পরিষদ গঠন করা হয়। সে সময়ে চট্টগ্রাম শহরের সাড়ে চার বর্গমাইল এলাকা উক্ত মিউনিসিপ্যালিটির আওতাধীন ছিল। প্রথমে ৪টি ওয়ার্ডে মিউনিসিপ্যালিটি বিভক্ত থাকলেও ১৯১১ সালে এ, বি, সি, ডি এবং ই নামে ৫টি ওয়ার্ড সৃষ্টি করা হয়। জে ডি ওয়ার্ড ছিলেন চট্টগ্রাম মিউনিসিপ্যালিটির প্রথম প্রশাসক এবং খান বাহাদুর আবদুচ ছত্তার ছিলেন প্রথম নির্বাচিত চেয়ারম্যান। পরবর্তীতে ত্রিশ বছর ধরে চেয়ারম্যান ছিলেন নূর আহমদ। ১৯৭৭ সালের ২৯ জুন চট্টগ্রাম মিউনিসিপ্যালিটির নাম পরিবর্তিত করে 'চট্টগ্রাম পৌরসভা' নামকরণ করা হয়। চট্টগ্রাম পৌরসভার প্রথম নির্বাচিত চেয়ারম্যান ছিলেন ফজল করিম। এই পৌরসভার কাজ ছিল শহুরেদের কাছ থেকে আসাম বেঙ্গল রেলওয়ে কোম্পানির হোল্ডিং ও জেটি কর, গৃহায়ণ কর, ভূমি কর এবং (১৮৯৬ সাল থেকে) পয়ঃনিষ্কাশন কর আদায় করা। ১৯০৬ সাল থেকে শুরু হয় ফেরি কর ও টোল কর আদায়। ১৯৫‌৬ সালে কর আদায়ের সাফল্যের জন্য চট্টগ্রাম পৌরসভার প্রথম সরকারি অর্থ সাহায্যের জন্য সরকারি অর্থ সাহায্যের তালিকায় নথিভুক্ত হয়। ১৯৮২ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম পৌরসভাকে 'চট্টগ্রাম মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনে' উন্নীত করা হয়। এই সময়ে এর আওতাধীন এলাকা হয় সর্বমোট ৬০ বর্গমাইল। প্রশাসক হিসেবে নিযুক্ত হন ব্রিগেডিয়ার মফিজুর রহমান চৌধুরী। ১৯৯০ সালের ৩১ জুলাই চট্টগ্রাম মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের নাম পরিবর্তিত করে 'চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন' নামকরণ করা হয়। সরকার কর্তৃক মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরীকে মেয়র নিযুক্ত করা হয়। পরবর্তীতে ১৯৯৪ সালের প্রথম নির্বাচন পর্যন্ত মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দীন মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পান। ১৯৯৪ সালের প্রথম নির্বাচনে এবিএম মহিউদ্দীন চৌধুরী মেয়র নির্বাচিত হন। সর্বশেষ ২০১৫ সালের সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র নির্বাচিত হন আ জ ম নাছির উদ্দিন। প্রশাসনিক এলাকা ১৯৭৮ সালের ৩০ নভেম্বর চট্টগ্রাম মহানগরীকে হাটহাজারী উপজেলার একটি ওয়ার্ড সহ আরো ৬টি মেট্রোপলিটন থানার অধীনে সর্বমোট ৪১টি ওয়ার্ডে বিভক্ত করা হয়। পরবর্তীতে ২০০০ সালের ২৭ মে ৬টি মেট্রোপলিটন থানাকে বিভক্ত করে আরো ৫টি ও কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ-পূর্বাংশের ৮টি ইউনিয়ন (১টির আংশিক) নিয়ে গঠিত কর্ণফুলী থানাসহ সর্বমোট ৬টি নতুন মেট্রোপলিটন থানা গঠিত হয়। ২০১৩ সালের ৩০ মে তৃতীয় ধাপে ৭টি মেট্রোপলিটন থানাকে বিভক্ত করে নতুন আরো ৪টি মেট্রোপলিটন থানা গঠন করা হয়। থানাসমূহ চট্টগ্রাম মহানগরীতে বর্তমানে ১৬টি থানা রয়েছে। ওয়ার্ডসমূহ thumb|280px|চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ওয়ার্ডসমূহ চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে বর্তমানে ৪১টি ওয়ার্ড রয়েছে। বর্ধিত সিটি কর্পোরেশন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন ২০২১ ২০১৫ ২০১০ ২০০৫ প্রশাসক, চেয়ারম্যান এবং মেয়রগণের তালিকা মিউনিসিপ্যালিটি (২২ জুন, ১৮৬৩) পৌরসভা (নাম পরিবর্তন ২৯ জুন, ১৯৭৭) মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন (উন্নীতকরণ ১৬ সেপ্টেম্বর, ১৯৮২) সিটি কর্পোরেশন (উন্নীতকরণ ৩০ সেপ্টেম্বর ১৯৮৯) আরও দেখুন চট্টগ্রাম চট্টগ্রাম জেলা বাংলাদেশের সিটি কর্পোরেশনের তালিকা চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন সাহিত্য পুরস্কার তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ বিষয়শ্রেণী:চট্টগ্রামের সরকার বিষয়শ্রেণী:চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশের সিটি কর্পোরেশন
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন
কাদম্বিনী গাঙ্গুলী (১৮ জুলাই, ১৮৬১-৩ অক্টোবর, ১৯২৩) ব্রিটিশ ভারতের প্রথম দুই জন নারী স্নাতকের একজন এবং ইউরোপীয় চিকিৎসাশাস্ত্রে শিক্ষিত দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম নারী চিকিৎসক। উনিশ শতকের শেষভাগে তিনি পাশ্চাত্য চিকিৎসায় ডিগ্রি অর্জন করেন এবং আনন্দীবাঈ জোশীর সাথে তিনিও হয়ে ওঠেন ভারতের প্রথমদিককার একজন নারী চিকিৎসক। জীবনী ব্রাহ্ম সংস্কারক ব্রজকিশোর বসুর কন্যা কাদম্বিনীর জন্ম হয় ১৮ই জুলাই ১৮৬১ তে বিহারের ভাগলপুরে। তাঁর মূল বাড়ি ছিলো বর্তমান বাংলাদেশের বরিশালের চাঁদশীতে। তাঁর বাবা ভাগলপুর স্কুলের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। ব্রজকিশোর বসু অভয়চরণ মল্লিকের সাথে ভাগলপুরে মহিলাদের অধিকারের আন্দোলন করেছিলেন। তাঁরা মহিলাদের সংগঠন ভাগলপুর মহিলা সমিতি স্থাপন করেছিলেন ১৮৬৩ খ্রিষ্টাব্দে। এই ঘটনা ছিল ভারতে প্রথম। দ্বারকানাথ ও তার বন্ধু কাদম্বিনীর পিসতুতো দাদা মনমোহনের হাত ধরে কাদম্বিনী তার পড়াশোনা আরম্ভ করেন হিন্দু মহিলা বিদ্যালয়ে। এক কালে দ্বারকানাথের পোলিও আক্রান্ত ছেলে সতীশের জ্বরের সময়ে তার মাথা ধুইয়ে তার প্রাণরক্ষা করেছিলেন কাদম্বিনী। এর জন্য তার বুদ্ধিমত্তার প্রশংসাও করেছিলেন তৎকালীন বিখ্যাত ডাক্তার মহেন্দ্র লাল সরকার। স্কুলজীবনে পড়াশুনা ছাড়াও অন্যান্য বিষয়ে যথেষ্ট আগ্রহ ছিল কাদম্বিনীর। স্কুলে পড়ার সময়ে তিনি ১৮৭৮ সালে প্রথম মহিলা হিসাবে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশিকা পরীক্ষায় দ্বিতীয় শ্রেণিতে পাস করেন। তার দ্বারাই প্রভাবিত হয়ে বেথুন কলেজ প্রথম এফ.এ (ফার্স্ট আর্টস) এবং তারপর অন্যান্য স্নাতক শ্রেণি আরম্ভ করে। কাদম্বিনী এবং চন্দ্রমুখী বসু বেথুন কলেজের প্রথম গ্র্যাজুয়েট হয়েছিলেন ১৮৮৩ খ্রিষ্টাব্দে। তারা বি.এ পাস করেছিলেন। তারা ছিলেন ভারতে এবং সমগ্র ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের প্রথম মহিলা গ্র্যাজুয়েট। গ্র্যাজুয়েট হবার পর কাদম্বিনী দেবী সিদ্ধান্ত নেন যে তিনি ডাক্তারি পড়বেন। ১৮৮৩ সালে মেডিকেল কলেজে ঢোকার পরেই তিনি তার শিক্ষক দ্বারকানাথ গাঙ্গুলীকে বিয়ে করেন। দ্বারকানাথ বিখ্যাত সমাজসংস্কারক ও মানবদরদী সাংবাদিক হিসেবে খ্যাত ছিলেন। যখন তিনি বিয়ে করে তখন ৩৯ বছর বয়েসের বিপত্নীক, কাদম্বিনীর বয়স তখন ছিল একুশ। কাদম্বিনী ফাইন্যাল পরীক্ষায় সমস্ত লিখিত বিষয়ে পাস করলেও প্র্যাকটিক্যালে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে অকৃতকার্য হন। ১৮৮৬ খ্রিষ্টাব্দে তাকে জিবিএমসি (গ্র্যাজুয়েট অফ বেঙ্গল মেডিক্যাল কলেজ) ডিগ্রি দেওয়া হয়। তিনি ছিলেন প্রথম ভারতীয় মহিলা যিনি পাশ্চাত্য চিকিৎসারীতিতে চিকিৎসা করবার অনুমতি পান। মেডিক্যাল কলেজে পড়াকালীন তিনি সরকারের স্কলারশিপ পান যা ছিল মাসে ২০ টাকা। তিনি পাঁচ বছর মেডিক্যাল কলেজে পড়াশোনা করার পর বিলেত যাবার আগে ১৮৮৮ খ্রিষ্টাব্দে তিনি কিছুদিন লেডি ডাফরিন মহিলা হাসপাতালে মাসিক ৩০০ টাকা বেতনে কাজ করেছিলেন। ১৮৯৫ খ্রিস্টাব্দে রাজমাতার চিকিৎসার্থে নেপাল যান। ১৮৮৯ খ্রিষ্টাব্দে বোম্বে শহরে কংগ্রেসের পঞ্চম অধিবেশনে প্রথম যে ছয় জন নারী প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছিলেন কাদম্বিনী ছিলেন তাদের অন্যতম একজন। পরের বছর তিনি কলকাতার কংগ্রেসের ষষ্ঠ অধিবেশনে বক্তব্য রাখেন। কাদম্বিনী ছিলেন কংগ্রেসের প্রথম মহিলা বক্তা। কাদম্বিনী গান্ধীজীর সহকর্মী হেনরি পোলক প্রতিষ্ঠিত ট্রানসভাল ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশনের প্রথম সভাপতি এবং ১৯০৭ খ্রিষ্টাব্দে কলকাতায় অনুষ্ঠিত মহিলা সম্মেলনের সদস্য ছিলেন। ১৯১৪ সালে তিনি কলকাতায় সাধারণ ব্রাহ্ম সমাজের অধিবেশনে সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। এই অধিবেশন মহাত্মা গান্ধীর সম্মানের জন্য আয়োজন করা হয়েছিল। কাদম্বিনী চা বাগানের শ্রমিকদের শোষণের বিষয়ে অবগত ছিলেন এবং তিনি তার স্বামীর দৃষ্টিভঙ্গি সমর্থন করেন যিনি আসামের চা বাগানের শ্রমিকদের কাজে লাগানোর পদ্ধতির নিন্দা করেছিলেন। কবি কামিনী রায়ের সাথে কাদম্বিনী দেবী ১৯২২ খ্রিষ্টাব্দে বিহার এবং ওড়িশার নারীশ্রমিকদের অবস্থা তদন্তের জন্য সরকার দ্বারা নিযুক্ত হয়েছিলেন। সামাজিক বাধা তিনি হিন্দু রক্ষণশীল সমাজের দ্বারা আক্রান্ত হয়েছিলেন। ১৮৯১ খ্রিষ্টাব্দে রক্ষণশীল বাংলা পত্রিকা বঙ্গবাসী তাকে পরোক্ষ ভাবে বেশ্যা বলেছিল। কাদম্বিনী এর বিরুদ্ধে মামলা করে জেতেন। বঙ্গবাসী পত্রিকার সম্পাদক মহেশ চন্দ্র পালকে ১০০ টাকা জরিমানা এবং ছয় মাসের জেল দেওয়া হয়। ব্যক্তিগত জীবন আট সন্তানের মা হওয়ার কারণে সংসারের জন্যও তাকে বেশ সময় দিতে হতো। তিনি সূচিশিল্পেও নিপুণা ছিলেন। বিখ্যাত আমেরিকান ইতিহাসবিদ ডেভিড কফ লিখেছেন, "গাঙ্গুলির স্ত্রী কাদম্বিনী ছিলেন তাঁর সময়ের সবচেয়ে সফল এবং স্বাধীন ব্রাহ্ম নারী। তৎকালীন বাঙালি সমাজের অন্যান্য ব্রাহ্ম এবং খ্রিস্টান নারীদের চেয়েও তিনি অগ্রবর্তী ছিলেন। সকল বাধার ঊর্ধ্বে উঠে মানুষ হিসেবে নিজেকে জানার তাঁর এই ক্ষমতা তাঁকে সাধারণ ব্রাহ্ম সমাজে নারীর অধিকার নিয়ে কথা বলা জনগোষ্ঠীর কাছে অনুপ্রেরণার উৎসে পরিণত করে।" মৃত্যু ১৯২৩ খ্রিষ্টাব্দের ৩রা অক্টোবর কাদম্বিনী বসু গঙ্গোপাধ্যায়ের একটি অপারেশন সেরে বাড়ি ফেরার পথে হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু হয়। আরো দেখুন প্রথমা কাদম্বিনী কাদম্বিনী তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ বিষয়শ্রেণী:বাঙালি চিকিৎসক বিষয়শ্রেণী:১৮৬১-এ জন্ম বিষয়শ্রেণী:১৯২৩-এ মৃত্যু বিষয়শ্রেণী:ভারতীয় নারী চিকিৎসক বিষয়শ্রেণী:বরিশালের ব্যক্তি বিষয়শ্রেণী:বেথুন কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থী
কাদম্বিনী গঙ্গোপাধ্যায়
বিজ্ঞান কল্পকাহিনী, বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী বা কল্পবিজ্ঞান আধুনিক কল্পসাহিত্যের একটি বিশেষ শাখা বা শ্রেণী, যাতে ভবিষ্যৎ বৈজ্ঞানিক বা প্রযুক্তিগত আবিষ্কার ও উদ্ভাবন এবং মানব সভ্যতাকে কেন্দ্র করে পটভূমি রচনা করা হয়। মানব সভ্যতা মধ্যযুগে থেকে আধুনিক যুগে প্রবেশের সময় যে বৈজ্ঞানিক বিপ্লবের সৃষ্টি হয় তার অনিবার্য ফসল ছিল বিজ্ঞান কল্পকাহিনী। ইংরেজিতে একে “সাইন্স ফিকশন” বলা হয়। বাংলা ভাষায় প্রথম বিজ্ঞান কল্পকাহিনী লেখা শুরু হয় ঊনবিংশ শতাব্দীতে। বাংলা বিজ্ঞান কল্পকাহিনী সাহিত্যের অগ্রদূত বলা যায় জগদানন্দ রায়কে; তিনি শুক্র ভ্রমণ নামক একটি জনপ্রিয় বই লিখেছিলেন। অন্যান্য লেখকদের মধ্যে লীলা মজুমদার, ক্ষিতীন্দ্রনারায়ন ভট্টাচার্য, প্রেমেন্দ্র মিত্র, সত্যজিত রায়, অদ্রীশ বর্ধন, সিদ্ধার্থ ঘোষ-এর নাম প্রাসঙ্গিক। বিজ্ঞানী জগদীশ চন্দ্র বসুও একটি কল্পবিজ্ঞান গল্প লিখেছেন পলাতক তুফান নামে। সংজ্ঞা ইতিহাস ধারণাসমূহ বহির্জাগতিক প্রাণ এই বিশাল মহাবিশ্বে কি শুধু মাত্র পৃথিবীতেই প্রাণ আছে? এই প্রশ্নটি তাড়া করে বেড়াচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন বিজ্ঞানীদের । তাদের ধারনার সেই ভিন্ন গ্রহের প্রাণীদের নাম দেয় এলিয়েন । মানুষ আবিষ্কারপ্রেমী, সাথে কল্পনাপ্রেমীও। কারণ আবিষ্কারের তাড়না জন্মায় কল্পনা থেকে । আর এইভাবেই আবিষ্কার হয়েছে নানা অজানা । বহির্জাগতিক বুদ্ধিমত্তা জৈব প্রযুক্তি ক্লোনিং কৌলিতত্ত্ব, বংশাণু প্রকৌশল পরিবৃত্তি অরগানলেগিং দীর্ঘ জীবন ক্রায়োনিক্‌স, ক্রায়োসংরক্ষণ অতি দ্রতগতিসম্পন্ন নভোযান সম্ভাবনার দ্বার প্রান্তে অতি দ্রুতগতিশীল নভোযান: বিশ্বের সবচেয়ে বিখ্যাত সমীকরণ E=MC² হচ্ছে আধুনিক পদার্থ বিজ্ঞানের জনক জার্মানির আলবার্ট আইনস্টাইনের ‘থিওরি অব স্পেশাল রিলেটিভিটি’ বা বিশেষ আপেক্ষিকতা তত্ত্বের চূড়ান্ত ফল- যাতে নিশ্চিতভাবে বলা হয়েছে যে, আলোর গতি প্রতি সেকেন্ডে ১,৮৬,০০০ (এক লক্ষ ছিয়াশি হাজার) মাইলের উর্ধ্বে কখনও হতে পারে না। সমীকরণ E=MC² সায়েন্স ফিকশন বা বিজ্ঞান কল্পকাহিনীর বহুল প্রচলিত ও জনপ্রিয় অতি দ্রুতগতিসম্পন্ন মহাকাশ যানের সম্ভাব্যতার ক্ষেত্রে অনেকটা প্রতিবন্ধক স্বরূপ হওয়ায় সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় অবস্থিত বিশ্বের সর্ববৃহৎ পারমাণবিক গবেষণা কেন্দ্র সার্ণ (CERN) কর্তৃক ২০১১ সালে জেনেভার সার্ন ল্যাবরেটরি থেকে ৭৩০ কিলোমিটার দূরে থাকা ইটালির রোমের কাছে মাটির নীচের গ্রান সাসো ল্যাবরেটরিতে নিউট্রিনো পাঠিয়ে দেখতে পায় যে, আলোর চেয়ে অন্ততঃ ৬০ ন্যানো সেকেন্ড বেশি দ্রুতগতিতে রোম ল্যাবরেটরিতে নিউট্রিনো পৌঁছে গেছে। এই অবিস্মরণীয় আবিস্কারের ঘোষণায় সায়েন্স ফিকশনপ্রিয় মানুষের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা সৃষ্টি হয় এ ভেবে যে, প্রত্যাশিত অতি দ্রুতগতিসম্পন্ন স্বাপ্নিক মহাকাশ যান এবার বাস্তবতায় রূপ নেবে; যেমন আদিকালে পাখির ন্যায় আকাশে উড়ার মানব দিব্যিস্বপ্ন একসময় রাইটভ্রাতৃদ্বয়ের মাধ্যমে বিমান প্রযুক্তি আবিস্কারের মাধ্যমে সম্ভবপর হয়েছিল। নিউট্রিনো আবিস্কারে বৈজ্ঞানিক প্রতিক্রিয়া: অধ্যাপক জেনি থোমাস:  অ্যামেরিকার ‘ফার্মিল্যাব' ও জাপানের ‘টিটুকে' নামের দুটি গবেষণা কেন্দ্রও সার্ণের মত নিউট্রিনো বিষয় নিয়ে কাজ করছে ৷ ফার্মিল্যাবের এক বিজ্ঞানী অধ্যাপক জেনি থোমাস বলছেন সার্নের বিজ্ঞানীদের তথ্য যদি আসলেই সত্য প্রমাণিত হয় তাহলে পদার্থবিজ্ঞানে তার প্রভাব হবে অনেক বড় ৷ স্টিফেন হকিং: সার্ণ কর্তৃক আলোর চাইতে অধিক দ্রুত গতিশীল নিউট্রিনো আবিস্কারের খবর শুনে বৃটিশ পদার্থবিদ, জগত কাঁপানো বিগ ব্যাং তত্ত্বের স্থপতি স্টিফেন হকিং তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বলেছিলেন, সার্নের গবেষণার ফলাফল নিয়ে মন্তব্য করার সময় এখনো আসেনি ৷ মার্টিন রিস:  ব্রিটিশ পদার্থবিজ্ঞানী কসমোলজিস্ট ও অ্যাস্ট্রোফিজিসিষ্ট মার্টিন রিস বলেছেন, অতি আশ্চর্যের কোনো দাবির সত্যতা নিশ্চিত করতে প্রয়োজন সেরকমই কোনো প্রমাণ ৷ সার্নের বিজ্ঞানীরা যেটা বলছেন সেটা সেরকমই একটা অতি আশ্চর্যের। উল্লেখ্য, আলবার্ট আইনস্টাইনের ‘থিওরি অব স্পেশাল রিলেটিভিটি’ বা বিশেষ আপেক্ষিকতা তত্ত্ব E=MC²: আলোর গতি প্রতি সেকেন্ডে ১,৮৬,০০০ (এক লক্ষ ছিয়াশি হাজার) মাইলের প্রতিষ্ঠিত যে বিধিবদ্ধতা তা সার্ণ কর্তৃক অন্তত: ৬০ ন্যানো সেকেন্ড বেশি দ্রুতগতিসম্পন্ন নিউট্রিনো আবিস্কারের ফলে সায়েন্স ফিকশনিস্টদের মনে সময় পরিভ্রমণের (Time Travel) যে আশার আলো জেগেছিল পরবর্তি গবেষণায় ত্রুটিপূর্ণ প্রমাণিত হওয়ায় তা নিরাশায় পরিণত হয়। সময় পরিভ্রমণ (Time Travel) মানুষ স্বভাবজাত সময় পরিভ্রমণকারী (টাইম ট্রাভেলার): মানুষ অনেকটা উড়ন্ত স্বভাবের। আবহমানকাল থেকে মানুষ পাখির উড়ন্ত অবস্থা দেখে দেখে তার উড়ার সাধ যেদিন থেকে ভাবান্তরে জেগেছিল ঠিক সেদিন থেকেই কার্যত: আকাশ প্রযুক্তির (বিমান-রকেট-ওয়ার্মহোল-র‍্যাপ ড্রাইভ) সূচনা ঘটায়। ইতোমধ্যেই মানুষ বিমান-রকেট প্রযুক্তি যথেষ্ট আয়ত্ব করেছে; ওয়ার্মহোল-র‍্যাপ ড্রাইভ হয়তো সময়ের ব্যাপার। বিমান প্রযুক্তিঃ বিমান একপ্রকার যন্ত্র যা বায়ুর উপর ভর করে উড়তে সক্ষম হয়। এটি এয়ারফুয়েলের স্থির উত্তোলন বা গতিশীল উত্তোলন অথবা কিছু ক্ষেত্রে জেট ইঞ্জিনের নিম্নমুখী ধাক্কা দ্বারা অভিকর্ষের বিপরীতে ক্রিয়া করে। বিমানের গতি-প্রকৃতিঃ ·সর্বোচ্চ গতিসম্পন্ন উড্ডয়নের রেকর্ড ধারণকারী বিমান- নাসার এক্স-৪৩এ পেগাসাস, যা স্ক্রামজেট চালিত,শব্দোত্তর গতিসম্পন্ন, লিফটিং বডি, পরীক্ষামূলক বিমান যা ১৬ নভেম্বর, ২০০৪ তারিখে ম্যাক ৯.৬ বা ঘণ্টাপ্রতি ৭০০০ মাইল বেগ অর্জন করার মধ্য দিয়ে রেকর্ড গড়ে। · সর্বাধিক গতিসম্পন্ন শক্তিচালিত উড়োজাহাজ উড্ডয়নের রেকর্ড- উত্তর আমেরিকান এক্স-১৫এ-২ উড়োজাহাজ ১৯৬৭ সালের ৩ অক্টোবর, ম্যাক ৬.৭২ বা ৪৫২০ মাইল প্রতিঘণ্টা বেগ তুলে এ রেকর্ড গড়ে। o    দ্রুততম স্থির পাখাবিশিষ্ট বিমান এবং গ্লাইডার- স্পেস শাটল, যা প্রায় ম্যাক ২৫ বা ঘণ্টায় ১৭০০০ মাইল বেগ তুলতে সক্ষম হয়। o    দ্রুততম সামরিক বিমান- লকহিড এসআর-৭১ ব্ল্যাকবার্ড(ম্যাক ৩.৩ বা ২২০০ মাইল প্রতিঘণ্টা) o    দ্রুততম বর্তমান সামরিক বিমান- যৌথভাবে সোভিয়েত/রাশিয়ান মিগ-২৫ যুদ্ধবিমান(ম্যাক ৩.২, ইঞ্জিন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া সাপেক্ষে এবং ম্যাক ২.৮৩, স্বাভাবিক অবস্থায়) এবং রাশিয়ান মিগ-৩১ (ম্যাক ২.৮৩) o    সর্বকালের দ্রুততম বেসামরিক ও যাত্রীবাহী বিমান-টুপোলেভ টু-১৪৪ সুপারসনিক জেট বিমান।(ম্যাক ২.৩৫) o    দ্রুততম বর্তমান বেসামরিক উড়োজাহাজ- আমেরিকান সেসনা সিটেশন টেন বিমান(ম্যাক ০.৯৩৫) o    দ্রুততম বর্তমান যাত্রীবাহী বিমান- বোয়িং ৭৪৭(ম্যাক ০.৮৮৫) https://bn.wikipedia.org/wiki/বিমান জেট প্রযুক্তিঃ জেট বিমানে থাকে জেট ইঞ্জিন যা বাতাস ভিতরে টেনে নিয়ে তার দহন করে এবং উচ্চবেগে নিক্ষেপ করার মাধ্যমে ধাক্কা অর্জন করে। অনেকক্ষেত্রে,অতিরিক্ত ধাক্কা অর্জনের জন্য টার্বোফ্যান বা টার্বোগ্যাস ইঞ্জিন ব্যবহৃত হয়।তাছাড়া অতিরিক্ত জ্বালানী প্রবাহের জন্য আফটারবার্নার যুদ্ধবিমানগুলোতে ব্যবহৃত হয়। জেট ইঞ্জিনের নিম্নমুখী ধাক্কা দ্বারা অভিকর্ষের বিপরীতে ক্রিয়া করে। (সূত্রঃ https://bn.wikipedia.org/wiki/বিমান) বস্তুত: জেট বিমান অত্যন্ত দ্রুত গতি সম্পন্ন বিমান যা প্রায় সুপারসোনিক কিংবা ট্রান্সোনিক গতির হয়ে থাকে। এরা এত দ্রুত গতি অর্জন করে নিউটনের ৩য় সূত্র প্রয়োগের মাধ্যমে। প্রচন্ড বলে বিমান থেকে নির্গত পদার্থের প্রতিক্রিয়া বলের কারণেই জেট বিমান গতি লাভ করে। সাধারণ যাত্রীবাহী বিমানগুলো বায়ুমণ্ডলের সবচেয়ে নিচের স্তরে (বায়ুস্তরের ০ থেকে ১২/১৫ কিলোমিটার (০ থেকে ৭/৯ মাইল উচ্চে) অবস্থিত "ট্রপোস্ফিয়া" স্তর দিয়ে চলাচল করে আর যাত্রী এবং মালবাহী জেট বিমানগুলো তার উপরের স্তরে  (বায়ুস্তরের ১২/১৫ থেকে ৫০ কিলোমিটার (৭/৯ থেকে ৩১ মাইল উচ্চে) অবস্থিত "স্ট্যাটোস্ফিয়ার" স্তর দিয়ে চলাচল করে। ·রকেট প্রযুক্তিঃ নিউটনের গতির তৃতীয় সূত্র অনুসৃত রকেট (ইংরেজি: Rocket) এমন এক ধরনের মহাকাশ যান যেখানে রাসায়নিক শক্তির দহনের মাধ্যমে সৃষ্ট উৎপাদকগুলিকে প্রবল বেগে যানের নির্গমন পথে নিঃসরণের ফলে সৃষ্ট ঘাতবলের কারণে অতি দ্রুতযানে রূপ পরিগ্রহ করে। বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি, মহাশূন্যচারী, নিয়ন্ত্রণ ও দিক নির্ধারণ ব্যবস্থা, পেলোড-১, পেলোড-২, ফার্স্ট স্টেজ, সেকেন্ড স্টেজ, বুস্টার, নজেল, প্রধান ইঞ্জিন ইত্যাদি প্রয়োজনীয় সাজসরন্জ্ঞাম  সমৃদ্ধ রকেটযানে রক্ষিত জ্বালানী রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে পেছন নিঃসরণের ফলে রকেট সামনের দিকে দ্রুত বেগে চলতে শুরু করে। বিশ্বে অনেক ধরনের রকেট উদ্ভাবিত হয়েছে। এটি ছোট্ট বোতল আকৃতি থেকে শুরু করে বৃহৎ আকৃতির মহাকাশযানের মতো হতে পারে। তন্মধ্যে এরিয়েন ৫ হচ্ছে অন্যতম বৃহৎ আকৃতির রকেট যা দিয়ে কক্ষপথে কৃত্রিম উপগ্রহ প্রেরণ করা হয়। জার্মান বিজ্ঞানী বার্নার ফন ব্রাউন আমেরিকার মহাকাশ প্রকল্পে (নাসা) কাজ করেন ও চাঁদে নভোচারী প্রেরণে সহায়তা করেন। https://bn.wikipedia.org/wiki/রকেট পার্কার সোলার প্রোবঃ  মানব নির্মিত দ্রুতগতির মহাকাশযান হলোঃ পার্কার সোলার প্রো-যেটি ৩১ জুলাই ২০১৮ তে মহাকাশে প্রেরণ করা হয়েছে ।এটি সূর্যের নিকটে গিয়ে সূর্যের ইলেক্ট্রিক অরবিটে অবস্থান করবে এবং সূর্যের আবহাওয়া, আবহাওয়ার পরিবর্তন এবং পৃথিবীতে সূর্যের প্রভাব ইত্যাদি সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করবে। সূর্যের কক্ষপথে প্রোবটির গতি হবে প্রতি সেকেন্ডে ২০০ কি.মি. যা আলোর গতির মাত্র ০.০৭%। তাই এই গতিতে তার প্রক্সিমা সেন্টেরাই পৌছাতে সময় লাগবে ৭,০০০ বছর। (সূত্রঃ https://www.facebook.com/926062800865116/posts/1121555124649215/ ) পারসিভিয়ারেন্স রোভার: ইতিহাস তৈরি করে কঠিনতম 'টাচডাউন'' প্রক্রিয়া শেষ করে লালগ্রহের দেশ মঙ্গলে সফলভাবে পা রেখেছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার মার্স রোভার ‘পারসিভিয়ারেন্স। উল্লেখ্য, আজ পর্যন্ত এতবড় যান মঙ্গলে কখনও পাঠায়নি নাসা। মঙ্গলে প্রাণের সন্ধানের খোঁজ করতেই এই ঝুঁকিপূর্ণ ঐতিহাসিক যাত্রা মার্কিন মহাকাশযানের। এবার অপেক্ষা মঙ্গলে প্রাণ রয়েছে কী না, এই বড় প্রশ্নের উত্তর পাওয়ার। নাসা সূত্রে খবর, লাল গ্রহে প্রাণের সন্ধান করবে ‘পারসিভের‍্যান্স’। সেইসঙ্গে খোঁড়াখুঁড়ি করে মাটি ও পাথর সংগ্রহ করবে। ৪৩টি টেস্ট টিউবে তা সংগ্রহ করা হবে। ২০২৬ সালে নাসার পরবর্তী অভিযানে সেই টেস্ট টিউবগুলি পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনার পরিকল্পনা রয়েছে। ২০১২ সালে মঙ্গলের লাল মাটিতে সফলভাবে অবতরণ করে ‘কিউরিওসিটি রোভার’। ২০১৮ সালে মঙ্গলের বুকে নামে নাসার মহাকাশযান ‘ইনসাইট’। তবে এবার লাল গ্রহে সভ্যতার গড়ার লক্ষ্য নিয়েছে পৃথিবী। অপেক্ষা সেটাই।(তথ্যসূত্রঃhttps://bengali.indianexpress.com/technology/nasas-rover-perseverance-makes-historic-mars-landing-indian-origin-involved-287993) নাসার বরাতে বিবিসি জানিয়েছে, জিএমটি সময় ২৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২১ বৃহস্পতিবার ২০টা ৫৫ মিনিটে ‘জেসেরো’ নামে পরিচিত মঙ্গলের নিরক্ষীয় অঞ্চলে সফলভাবে অবতরণ করে পারসেভারেন্স। তখন বাংলাদেশ সময় ছিল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টা ৫৫ মিনিট। এই মিশনের ডেপুটি প্রজেক্ট ম্যানেজার ম্যাট ওয়ালেস বলেছেন, ‘সুসংবাদ হলো আমার ধারণা, মহাকাশযানটি একটি দারুণ অবস্থানে আছে।’পারসেভারেন্স রোভারটি মঙ্গলের মাটি স্পর্শ করার বার্তা আসার সঙ্গে সঙ্গে আনন্দে ফেটে পড়েন নাসার বিজ্ঞানীরা। ছয় চাকার এই রোভারটি মঙ্গলের মাটিতে অন্তত দুই বছর অবস্থান করবে। এই সময়ে গ্রহটির পাথুরে মাটি ড্রিল করে সেখানে অতীতে কোনো প্রাণের অস্তিত্ব ছিল কি না তা খুঁজবে এটি। প্রাণের অস্তিত্ব পাওয়ার সম্ভাবনা জোরালো করতে পারসেভারেন্সকে গ্রহটির ‘জেসেরো’ ক্র্যাটার অববাহিকায় অবতরণের জন্য বেছে নেয় নাসা। বিজ্ঞানিদের বিশ্বাস, এক সময় সেখানে একটি হ্রদ ছিল, পরে সেটি প্রাচীন এক নদী দ্বারা বিলুপ্ত হয়ে যায়। নাসার এই মিশনকে এ যাবৎকালের সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং হিসেবে দেখা হচ্ছে। গত বছরের জুলাইয়ে পৃথিবী থেকে উড়াল দেয়ার সাত মাস পর প্রায় ৩০ কোটি মাইল পথ পাড়ি দিয়ে রোভারটি এখন মঙ্গলে। পারসেভারেন্স তথা ‘অধ্যবসায়’ মঙ্গলের মাটি স্পর্শ করা নাসার পাঠানো পঞ্চম রোভার। তবে এবারের রোভারটি অনেক দিক থেকেই প্রথম হওয়ার নজির গড়তে যাচ্ছে। মঙ্গল থেকে মাইক্রোফোনিক সাউন্ড সরবরাহ করা প্রথম রোভার হবে পারসেভারেন্স। সেই সঙ্গে আগের যেকোনো রোভারের চেয়ে বেশি ক্যামেরা আছে এটিতে। থাকছে প্রাণের অস্তিত্ব অনুসন্ধানী ‘শার্লক’ ও ‘ওয়াটসন’ নামে দুটি যন্ত্র। মঙ্গলের পাথুরে শিলার নমুনা হাতে পেতে বিজ্ঞানীদের ১০ বছরের যে চেষ্টা তার প্রাথমিক লক্ষ্য পূরণ হলো পারসেভারেন্সের অবতরণের মাধ্যমে।এই রোভারটিতে একটি ড্রিলিং মেশিন রয়েছে, যেটি প্রায় ৪০টি গুরুত্বপূর্ণ নমুনা সংগ্রহ করতে পারবে। এর মধ্যে ৩০টির মতো নমুনা নিয়ে ২০৩১ নাল নাগাদ পৃথিবীতে ফেরার কথা রোভারটির। পারসেভারেন্সের সফল অবতরণের পর নাসা ও সংশ্লিষ্টদের অভিনন্দন জানিয়ে টুইট করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। লিখেছেন, ‘পারসেভারেন্সের ঐতিহাসিক অবতরণ সম্ভব করে তোলায় নাসা ও প্রত্যেককে অভিনন্দন। আজ আবারও প্রমাণ হলো, বিজ্ঞানের শক্তি ও আমেরিকান উদ্ভাবনী কিছুই সম্ভাবনা রাজ্যের বাইরে নয়’ (তথ্য সূত্রঃ https://www.newsbangla24.com/science/126223/মঙ্গল-ছুঁলো-অধ্যাবসায় গল্প-কল্প নয়: এবার মঙ্গল-আকাশে উড়বে হেলিলকপ্টার! বাংলাভাষী সায়েন্স ফিকশনিস্টদের জন্য সুখবর হচ্ছে গল্প-কল্প নয় এবার মঙ্গল গ্রহের আকাশে হেলিকপ্টার ওড়াবেন ভারতীয় বাঙ্গালী নাসা বিজ্ঞানীরা। হেলিকপ্টারটির নাম ইনজেনুইটি।আকাশ থেকে মঙ্গলের আরও বড় এলাকাজুড়ে নজরদারি চালাবে এই হেলিকপ্টারটি। (সূত্রঃhttps://bengali.oneindia.com/news/international/nasa-s-perseverance-rover-makes-historic-mars-landing-125109.html) ভয়েজার-১: ভয়েজার ১' হল একটি ৭২২-কিলোগ্রাম (১,৫৯২ পা) স্পেস প্রোব যা নাসা ১৯৭৭ সালের ৫ সেপ্টেম্বর মহাশূন্যে প্রেরণ করে সৌরজগতের বাইরের পরিবেশ সম্পর্কে জানার জন্য। এটি ৪৩ বছর ধরে চালনা করা হচ্ছে এবং এটি ডিপ স্পেস নেটওয়ার্কের সাথে যোগাযোগ করে কমান্ড নেয়ার জন্য এবং তথ্য দেয়ার জন্য। ২০১৪ সালের ১১ নভেম্বর এটি পৃথিবী থেকে ১৩০.২৯ AU (১.৯৪৯×১০১০ কিমি) (আনুমানিক ১২ বিলিয়ন মাইল) দূরত্ব অতিক্রম করে, এটিই পৃথিবী থেকে সবচেয়ে দূরবর্তী স্পেস প্রোব। ১৯৭৯ সালে বৃহস্পতি এবং ১৯৮০ সালে শনি সিস্টেমের সম্মুখীন হওয়ার পর ১৯৮০ সালের ২০ নভেম্বর এর প্রাথমিক মিশন শেষ হয়। এটিই ছিল প্রথম প্রোব যা দুটি গ্রহের এবং এদের উপগ্রহের বিশদ তথ্য এবং ছবি দিতে সক্ষম হয়। ভয়েজার ১ হল ভয়েজার প্রোগ্রাম এর অংশ এবং ভয়েজার ২ সাদৃশ্য যার কাজ সৌরজগতের সীমানা কুইপার বেল্ট, হেলিওস্ফিয়ার এবং নক্ষত্রমন্ডলের মধ্যবর্তী এলাকার তথ্য প্রেরণ করা। ২০১৩ সালে নাসা এক ভূতাপেক্ষ ঘোষণায় জানায় যে, ২০১২ সালের ২৫শে আগস্ট ভয়েজার ১ আন্তঃনাক্ষত্রিক মহাকাশে প্রবেশ করেছে। এটিই এ যাবৎকালের প্রথম মনুষ্য নির্মিত দ্রুতগতিশীল মহাকাশ যান যা সৌরজগতের সীমানা বছর কয়েক আগেই ছাড়িয়ে গেছে (তথ্যসূত্রঃ https://bn.wikipedia.org/wiki/বিজ্ঞান_কল্পকাহিনী)। উল্লেখ্য, ১৯৭৭ সালের ৫ সেপ্টেম্বর মানুষ্য নির্মিত নাসা কর্তৃক প্রেরিত ভয়েজার-১ নামক মহাকাশযানের  প্রাথমিক উদ্দেশ্য ছিলো সৌরজগতের অভ্যন্তরিন গ্রহ-উপগ্রহ সম্পর্কে প্রাথমিক তথ্য সংগ্রহ করা। প্রাথমিক কাজ সম্পন্ন করে ভয়েজার এখন ১৪১ AU ( 1 AU= ১৫,০০,০০,০০০ কি.মি. অর্থাৎ ভয়েজার এখন পৃথিবী থেকে ২১১৫ কোটি কি.মি. দূরত্ব অনেক আগেই অতিক্রম করছে। এটি প্রতি সেকেন্ডে পাড়ি দিচ্ছে ১৭ কি.মি. পথ। এই গতিতে ভয়েজার যদি আলফা সেন্টেরাই দিকে যাত্রা শুরু করে তবে সেখানে পৌছাতে তার অন্তত: ৭৬,০০০ বছর সময় লেগে যেতে পারে। টাইম ট্রাভেল আসলে কী? টাইম ট্রাভেল বা সময় ভ্রমণ। এটি আসলে সময়ের অক্ষ বরাবর ভ্রমণ। আমরা সকলেই তিনটি মাত্রা সম্পর্কে অবগত,দৈর্ঘ্য,প্রস্থ এবং উচ্চতা। এই তিনটি মাত্রা বরাবর স্থান পরিবর্তন সম্ভব। তবে ন্যূনতম চতুর্মাত্রিক একটি ধারণা হচ্ছে সময়ের ধারণা। আজ পর্যন্ত এই চতুর্থ মাত্রা দিয়ে স্থান পরিবর্তন সম্ভব হয়নি। এই সময়ের অক্ষ বরাবর স্থান পরিবর্তনকে কালমাত্রিক সরণ বলা হয়। এক সময় থেকে আরেক সময়ে পরিভ্রমণকেও আমরা সময় ভ্রমণ বলে থাকি। এটি হতে পারে অতীত ভ্রমণ, হতে পারে ভবিষ্যত ভ্রমণ। আধুনিক পদার্থবিজ্ঞান কিন্তু টাইম ট্রাভেল বা সময় ভ্রমণ নিয়ে একদমই বসে নেই। ওয়ার্মহোলের ধারণাটি মূলত আমেরিকান গণিতবিদ এডওয়ার্ড কাসনার এর কাসনার মেট্রিক্স ব্যবহার করে আইন্সটাইনের ক্ষেত্র সমীকরণের সমাধানের মাধ্যমে এসেছিল এবং পরবর্তীতে তাত্ত্বিক পদার্থবিদ পল এহরেনফেস্ট এর এহরেনফেস্ট প্যারাডক্স এর গঠনের উপর দাঁড়িয়ে আজকের অবস্থায় এসে পৌঁছেছে। ব্ল্যাকহোলের মতোই আইন্সটাইনের আপেক্ষিকতার সাধারণ তত্ত্ব সমাধানের মাধ্যমেই ওয়ার্মহোলের মূলত: উৎপত্তি। (সূত্রঃওয়ার্মহোল-আন্তঃমহাজাগতিক যোগাযোগ ব্যবস্থাঃ http://openspace.org.bd/ওয়ার্মহোল-আন্তঃমহা জগত/) প্রকৃতপক্ষে ওয়ার্ম হোল হচ্ছে একটি থিওরিটিকাল প্যাসেজ অথবা টানেল যা স্পেসটাইমে এক অবস্থান থেকে অন্য অবস্থানে যেতে একটি শর্টকাট তৈরি করে এবং যার ফলস্বরূপ ইউনিভার্সের এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় ভ্রমনটা সময়ের সাথে কমে যায়। (সূত্রঃhttp://openspace.org.bd/ওয়ার্মহোল-আন্তঃমহা জগত/) যোগাযোগ স্থাপক টানেল এর মাধ্যমে মহাবিশ্বের একটি স্থান থেকে অন্য একটি স্থানে কম সময়ের মাঝেই ভ্রমণ (Travel) কল্পনা করা যায়।  সম্ভাব্য এই ট্যানেল প্রায় কয়েক বিলিয়ন আলোকবর্ষের পার্থক্যে থাকা মহাবিশ্বের দুটি বিন্দুকে মাত্র কয়েক মিটারের একটি টানেলের মাধ্যমে সংযুক্ত করে দিতে পারে। আলোকতত্ত্বমতে, আলো সর্বদা সরল পথে চলে। তাই ওই দুই বিন্দুর একস্থান থেকে অন্য স্থানে যেতে আলোর কয়েক বিলিয়ন বছর সময় লাগলেও, প্রস্তাবিত ওয়ার্মহোল ব্যবহার করে হয়তো আমরা অতি সহজেই মাত্র কয়েক মুহূর্তেই এক বিন্দু থেকে অন্য বিন্দুতে চলে যেতে পারবো। ব্যাপারটা অনেকটাই আলোর চেয়ে বেশি বেগে চলার মতো। (সূত্রঃ(সূত্রঃhttp://openspace.org.bd/ওয়ার্মহোল-আন্তঃমহা জগত/) অস্ট্রিয়ার প্রখ্যাত গণিতবিদ কুর্ট গডেল গণিতের মাধ্যমেই দেখিয়েছেন যে আমাদের এই মহাবিশ্বে কিছু Closed Time like Curve থাকা সম্ভব যা নির্দেশ করে শর্তসাপেক্ষে সময়ভ্রমণ সম্ভব। অ্যালবার্ট আইনস্টাইনের বিশেষ আপেক্ষিকতার তত্ত্ব অনুসারেও সময় ভ্রমণ সম্ভব। আপেক্ষিকতা অনুসারে কোনো বস্তু যখন আলোর গতিতে চলবে তখন তা হয়ে যাবে ভরশূন্য। আর যদি আলোর গতিতে চলে যায় তবে সময় স্থির হবে, মানে টাইম ট্রাভেল হবে। তার মানে আইনস্টাইনের আপেক্ষিকতা অনুযায়ী তাত্ত্বিকভাবে সময় ভ্রমণ সম্ভব। বিশাল ভরের কারণে ব্ল্যাকহোলের চারপাশের স্থান-কালের একটি অসীম বক্রতা সৃষ্টি হয়। লক্ষকোটি আলোকবর্ষ দূরবর্তী স্থান-কালগুলো বক্রতার কারণে একটি ক্ষুদ্র বিন্দুতে পরিণত হয়। এখন আমরা আমাদের অবস্থান থেকে কোনো বস্তুকে যদি ব্ল্যাকহোলে নিক্ষেপ করি, তাহলে এর কণিকাগুলো ওয়ার্মহোল দিয়ে নির্গত হয়ে খুব অল্প সময়ের ব্যবধানে লক্ষকোটি আলোকবর্ষ দূরের কোনো জগতে পৌঁছে যাবে। অর্থাৎ স্বাভাবিক সময়ে যে স্থান-কালে পৌঁছতে ওই বস্তুর কোটি কোটি বছর লাগত তাকে আমরা ওয়ার্মহোল ব্যবহারে খুব কম সময়ে এ দূরত্বটুকু অতিক্রম করিয়ে অন্য জগতে প্রবেশ করাতে পারবো। ওয়ার্মহোল কিংবা র‍্যাপ ড্রাইভ প্রযুক্তি অনেকটা অংক বা গণিতের ন্যায়। কারো জন্য অতি সহজবোধ্য আবার কারো জন্য দুর্বোধ্য বটে। তাই বিষয়গুলির সহজবোধ্যতার জন্য বিজ্ঞানী কিংবা বিজ্ঞান মনস্করা বিভিন্ন ব্যাখ্যা দাঁড় করাতে সচেষ্ট হন। যেমন: “উদাহরণস্বরূপ কেউ ভীষণ অসুস্থ হয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে যেতে চাইলেন। যেতে হবে খুব তাড়াতাড়ি। নচেৎ দেরি হলে স্বাস্থ্যের গুরুতর অবনতি ঘটতে পারে। সময় বড়জোর মাত্র ২ ঘন্টা। অনেক দূরের পথ। বিমানে করে যেতে ১৩-১৬  ঘন্টা লেগে যায়। তৈরি করতে হবে এমন একটা সুড়ঙ্গ-যার মাধ্যমে মাত্র দুই ঘন্টায় সেখানে পৌছে গেলেন। একে বলা হয় শর্টকাট রাস্তা যার বৈজ্ঞানিক নাম ওয়ার্ম হোল”। (সূত্রঃhttp://openspace.org.bd/ওয়ার্মহোল-আন্তঃমহা জগত/) "ওয়ার্ম হোলের ব্যাপারটা আরেকটু পরিষ্কার ধারণা লাভের জন্য একটা কাগজ নিয়ে কাগজের লম্বালম্বি দুই প্রান্তে দুটো ছোট্ট বৃত্ত আঁকা যেতে পারে। এবার কাগজটা মাঝ বরাবর ভাঁজ করে বৃত্ত দুটো এক করে কাগজটা ফুটো করি। ফুটো দুটো যোগ করে একটি ছোট টানেলের মতো তৈরি করি। এটিই হচ্ছে একটি ওয়ার্ম হোল। খেয়াল করি। কাগজটা যখন সমান্তরাল ছিল তখন বৃত্ত দুটোর মধ্যে দূরত্বটা অনেক ছিল অথচ ভাঁজ করার পর দূরত্বটা অনেক কমে গেল! এটিই ওয়ার্ম হোলের মূল ধারণা" । (সূত্রঃhttp://openspace.org.bd/ওয়ার্মহোল-আন্তঃমহা জগত/) সময় ভ্রমণঃ মানবজাতির চিরন্তন প্রত্যাশা ১৭৩৩ খ্রিষ্টাব্দে লেখা আইরিশ লেখক স্যামুয়েল ম্যাদেনের 'মেমরিজ অব টোয়েণ্টিয়েথ সেঞ্চুরি' তে সময় ভ্রমণের হাল্কা আভাস পাওয়া যায়। ফরাসী লেখক ল্যুই সেবাস্তিয়ান মারসিয়ারের L'An 2440, rêve s'il en fut jamais উপন্যাসে আমরা পাই প্যারিসের এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির সময় ভ্রমণের বৃত্তান্ত। ১৭৭০ সালে লেখা এই উপন্যাসটি তুঙ্গস্পর্শী জনপ্রিয়তা লাভ করেছিল। আমেরিকার স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রেক্ষাপটে ১৮১৯ খ্রিষ্টাব্দে রচিত মার্কিন লেখক ওয়াশিংটন আরভিংয়ের ' রিপ ভান উইঙ্কল ' ছোটগল্পটিও সময় ভ্রমণের একটি সুন্দর কাল্পনিক আখ্যান। রুশ সাহিত্যিক আলেকজান্ডার ফরমিচ ভেল্টম্যান ১৮৩৬ এ রচনা করেন 'প্রেদকি কালিমেরোসাঃ আলেকজান্ডার ফিলিপোভিচ ম্যাকেডনস্কি '। গল্পে গল্পকথক পক্ষীরাজের ঘোড়ায় প্রাচীন গ্রীস ভ্রমণ এবং সম্রাট আলেকজান্ডারের সঙ্গে সমুদ্রযাত্রার অনুষঙ্গে রুশ সাহিত্যে সম্ভবত সর্বপ্রথম সময় ভ্রমণের প্রসঙ্গ তুলে এনেছেন। ১৮৬১ সালে লেখা ফরাসী উদ্ভিদবিদ এবং ভূতত্ত্ববিদ পিয়ের বইটার্ডের 'প্যারিস অ্যাভোঁ লেসোম্ব' রচনাটিতে কাহিনীর মূল চরিত্রের প্রাগৈতিহাসিক প্যারিস নগর ভ্রমণের এক সুন্দর বর্ণনা ফুটে উঠেছে। এ ছাড়াও চার্লস ডিকেন্সের 'আ ক্রিসমাস ক্যারল','নিউ মান্থলি ম্যাগাজিন' এ প্রকাশিত স্বনামধন্য মার্কিন লেখক এডওয়ার্ড হেলের 'হ্যান্ডস অফ' এবং আরও অসংখ্য গল্প উপন্যাসে আমরা সময় ভ্রমণের উল্লেখ পাই। (সূত্র: https://bn.wikipedia.org/wikiসময়_ভ্রমণ) টাইম ট্রাভেলে মহাকাশ বিজয়ে মানুষের সাধ-সাধ্যের ইতিকথা মহাকাশ কত বড়? এর উত্তর হয়তো এই পৃথিবীতে কখনও পাওয়া যাবে না। তবে মহাকাশ বিজ্ঞানীরা এতটুকু বলেই ক্ষ্যান্ত হন যে, জানা মহাকাশের চেয়ে অজানা মহাকাশ অ-নে-ক, অ-নে-ক বড়। কত বড়? তা অনুভব-উপলদ্ধি করতে হলে নিম্নোক্ত কিছু পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করা যেতে পারেঃ যেমন,   গড় দূরত্বে ৯ কোটি ৩০ লাখ মাইল দূরবর্তী সূর্য থেকে আলো পৃথিবীতে আসতে যদি ৮ মিনিট ১৯ সেকেন্ড সময় নেয় তাহলে সূর্যের পরের নক্ষত্র প্রক্সিমা সেন্টুরাইতে যেতে ৪ দশমিক ৩৭ আলোক বর্ষ, আমাদের অদূরবর্তী নিজস্ব ছায়াপথ বা (মিল্কিওয়ে) এর একপ্রান্ত থেকে অপর প্রান্ত ঘুরে বেড়াতে পাড়ি দিতে ১০ লাখ আলোক বর্ষ। আর গোটা মহাবিশ্ব যার আনুমানিক পরিধি কল্পনা করা হয়েছে কমপক্ষে যে ৪৬ দশমিক ৫ বিলিয়ন আলোক বর্ষ তার মাইলেজ কিংবা কিলোমিটার বা কত?-এই অচিন্তনীয় দূরত্ব বৈজ্ঞানিক কল্পলোকে মুহুর্তের মধ্যে পাড়ি দিয়ে আবার পৃথিবীতে ফিরে আসতে কত দ্রুতগতি সম্পন্ন নভোতরী বা নভোভেলার প্রয়োজন তা সহজেই অনুমেয়। এ কারণে সায়েন্স ফিকশনিস্টরা কোন ভেলা বা তরীতে নয় শর্টকাট বিকল্প পথে মহাবিশ্ব মুহর্তের মধ্যে পাড়ি দিয়ে মুহুর্তের মধ্যে ফিরতে চান। শর্টকাট এই বিকল্প পথের নামকরণও করা হয়েছে “ওয়ার্ম হোল” নামে। প্রস্তাবিত ওয়ার্ম হোল-কে দুই প্রান্ত বিশিষ্ট এক প্রকার সুড়ঙ্গ (টানেল) যা মহাবিশ্বের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তের অকল্পনীয় দূরত্বের মধ্যে যোগসূত্রক হিসেবে কাজ করবে। ওয়ার্মহোলের ধারণাটা এসেছিল কার্যতঃ ত্রিমাত্রিক স্থান কীভাবে সময়ের সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে চতুর্মাত্রিক স্থান-কাল তৈরি করে তার ব্যাখ্যা সমম্বলিত বিজ্ঞানী আইনস্টাইনের বিখ্যাত ক্ষেত্র সমীকরণের বিশেষ একটি গাণিতিক সমাধান থেকে। [সূত্র: i.বিজ্ঞানচিন্তা, মে-২০১৯, বর্ষ: ৩, সংখ্যা-৮, পৃষ্ঠা: ৬৮ ii) www.bigganchinta.com] ওয়ার্ম হোল-কে আইনস্টাইন-রোজেন ব্রিজও বলা হয়। বস্ত্তঃ মহাবিশ্বে যাতে আইনস্টনীয় আলোর গতির (১,৮৬,০০০ মাইল) চাইতে বেশি দ্রুতগতিতে মহাবিশ্বের মহা দূরত্ব সহজে অতিক্রম করা যায় তাত্ত্বিকভাবে ওয়ার্ম হোল দিয়ে তা-ই নির্দেশ করা হয়েছে। আইনস্টাইন-রোজেন ব্রিজ কৃষ্ণ গহ্বরের আয়ুস্কাল শেষ হওয়ার পূর্বাবস্থায় মহাকর্ষের প্রভাবে চুপসে গিয়ে অতি শক্তিশালী মহাকর্ষীয় বলের সৃষ্টি করে। তাতে কৃষ্ণ গহ্বরের আগের নক্ষত্রের পদার্থগুলো চুপসে গিয়ে অসীম ঘনত্বের একটি সিঙ্গুলারিটি বা পরম বিন্দুর সৃষ্টি করে যার বহিঃপ্রান্তকে বলা হয় ইভেন্ট হরাইজন বা ঘটনাদিগন্ত। পরম বিন্দু থেকে বহুদূরে দুইটি কৃষ্ণ গহ্বর তাদের ঘটনাদিগন্তের কাছে যুক্ত হয় অর্থাৎ এই অন্চলের চারপাশের বক্র ও মসৃণ স্থান-কাল থেকে সৃষ্টি হয় এক প্রকার সেতুবন্ধ বা যোগসূত্র যাকে বলা হয় “আইনস্টাইন-রোজেন ব্রিজ” বা সেতু (সূত্র: প্রাগুক্ত পৃষ্ঠা: ৬৮)। বলা যায় এখান থেকেই ওয়ার্ম হোল ধারণার বুৎপত্তি। ঘটনা দিগন্ত অন্চলের এই “আইনস্টাইন-রোজেন ব্রিজ” ব্যবহার করেই অসীম বিশ্বের অসীম দূরত্ব পাড়ি দেয়ার আশা-প্রত্যাশায় প্রহর গুনছেন সায়েন্স ফিকশনিস্টরা। এই ওয়ার্ম হোলের মাধ্যমে যেমন এক কৃষ্ণ গহ্বর থেকে আরেক কৃষ্ণ গহ্বরে অনেকটা ট্যানেল আকারে গমণাগমনে সন্দেহ নেই পরম স্বাচ্ছন্দ্য এনে দেবে বৈকি। এটি হচ্ছে সায়েন্স ফিকশনিস্টদের জন্য সুসংবাদ, অন্ততঃ নিউট্রিনো আলোর গতির উর্ধ্বে উঠার তত্ত্ব বানচাল হয়ে যাওয়ার পর যে হতাশা দেখে দিয়েছিল তাতে ওয়ার্ম হোল একপ্রকার আশার আলো দেখাচ্ছে তাতে কম কী? সায়েন্স ফিকশনিস্টদের জন্য কতিপয় সুসংবাদ: তাত্ত্বিক পদার্থবিদ্যা অনুযায়ী টাইম ট্রাভেল সম্ভব। বিবিসি, লন্ডন সূত্রে প্রকাশ, University of Connecticut-এর পদার্থবিদ্যার প্রফেসর রন ম্যালেট একটি ডিভাইস বানিয়েছেন যার আদলে ভবিষ্যতে টাইম মেশিন বানানো যাবে। “বিজ্ঞানীদের ধারণা, একটি ওয়ার্মহোলের ভেতরের পথ যদি চারপাশের স্থানের চেয়ে সংক্ষিপ্ত হয়, তাহলে একে স্থান-কালের মধ্যে একটি শর্টকাট পথ হিসেবে ব্যবহার করা  সম্ভব”(সূত্র: বিজ্ঞানচিন্তা, মে-২০১৯, বর্ষ: ৩, সংখ্যা-৮, পৃষ্ঠা: ৬৮)। ফিকশনিস্টদের আশার আলো দেখাচ্ছেন ২০১৭ সালে নোবেল বিজয়ী ক্যালটেকের তাত্ত্বিক পদার্থবিদ কিপ থার্ন।  ( প্রাগক্ত পৃঃ৬৮)। তাত্ত্বিকভাবে থার্নের ‘এক্সোটিক ম্যাটার’ বিস্ফোরণে প্রতিটি কৃষ্ণ গহ্বরের জ্যামিতি পাল্টে দিয়ে আইনস্টাইন-রোজেন সেতুর প্রান্তগুলো ঘটনাদিগন্তের বাইরে নিয়ে আসে। আর তাতে সুড়ঙ্গের ভেতর দিয়ে এক প্রান্ত থেকে আলোর চেয়ে বেশি দ্রুত আরেক প্রান্তে পৌঁছা সম্ভবপর হতে পারে। স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ড্যানিয়েল জাফারিস এবং অ্যারন ওয়াল সম্প্রতি নতুন ধরনের ওয়ার্মহোলের সম্ভাবনার সুসংবাদ দিয়েছেন। খ্যাতনামা ‘ইপিআর প্যারাডক্স’ (আইনস্টাইন-রোজেন-পোলানস্কি প্যারাডক্স) নিয়ে গবেষণাকালীন সময়ে এই সম্ভাবনার কথা জানতে পারেন। এ ধরনের ওয়ার্ম হলের প্রান্তগুলো প্রাকৃতিকভাবেই পরস্পর সংযুক্ত থাকার সম্ভব্যতার কথা জানিয়ে গবেষকরা বলেন, এর জন্য নেগেটিভ বা ঋণাত্মক শক্তিসম্পন্ন এক্সোটিক ম্যাটারের প্রয়োজন নেই। ‘ইপিআর প্যারাডক্স’ তত্ত্ব অনুসারে দুটি কণার মধ্যে ‘কোয়ান্টাম অ্যান্টেঙ্গলমেন্ট’ বা ‘কোয়ান্টাম বিভাজন’ নামে বিশেষ ধরনের  ধর্ম থাকে। এই বিশেষ ধর্মানুযায়ী, মাইক্রো স্কেলের ওয়ার্মহোলের মাধ্যমে মহাবিশ্বের দূরপ্রান্তে থেকেও পরস্পরের মধ্যে যোগসূত্র স্থাপন সম্ভবপর হবে। বিজ্ঞানীদের ধারণা, অতি উন্নত কোন সভ্যতা হয়তো কোয়ান্টাম কণাকে এমনতর ভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হবে এবং তা দিয়ে তাদের পক্ষে একটা ওয়ার্মহোল তৈরি করা সম্ভবপর হবে। এমন ধারণা সায়েন্স ফিকশনিস্টদের জন্য সুসংবাদ বটে। আশার আলো টাইম ট্রাভেলের বিকল্প নভোতরী ‘র‍্যাপ ড্রাইভ’-এ: বিগত শতাব্দীর ষাটের দশক থেকেই বিজ্ঞান কল্প কাহিনী জুড়ে রয়েছে র‍্যাপ ড্রাইভের বর্ণনা। ১৯৯৪ সালে প্রথমবারের মতো মেক্সিকান পদার্থবিজ্ঞানী মিগুয়েল আলকুবিরি বিশেষ ধরনের র‍্যাপ ড্রাইভের প্রস্তাব দেন। মিগুয়েলের মতে, সাধারণ আপেক্ষিকতায় স্থানের যে নমনীয়তা রয়েছে, সে স্থানটির মধ্যে একটি তরঙ্গমালা সৃষ্টি সম্ভব। এই তরঙ্গ বা ঢেউয়ের মধ্যেই চলমান কোনো নভোযানের পেছনের স্থান প্রসারিত করে সামনের স্থান সংকুচিত করে মহাকাশের অসীম দূরত্ব ঘুচিয়ে দেবে। এখানে নভোযানটি বুদবুদের ভেতর তরঙ্গের ঠিক মধ্যখানে স্বাভাবিক সমতল স্থানে থাকতে পারবে। তরঙ্গটি নিজেই আলোর চেয়ে বেশি বেগে মহাবিশ্বের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে কার্যকরভাবে তরাঙ্গায়িত হতে থাকবে। বিগত শতাব্দীর ষাটের দশক থেকেই বিজ্ঞান কল্প কাহিনী জুড়ে রয়েছে র‍্যাপ ড্রাইভের বর্ণনা। ১৯৯৪ সালে প্রথমবারের মতো মেক্সিকান পদার্থবিজ্ঞানী মিগুয়েল আলকুবিরি বিশেষ ধরনের র‍্যাপ ড্রাইভের প্রস্তাব দেন। মিগুয়েলের মতে, সাধারণ আপেক্ষিকতায় স্থানের যে নমনীয়তা রয়েছে, সে স্থানটির মধ্যে একটি তরঙ্গমালা সৃষ্টি সম্ভব। এই তরঙ্গ বা ঢেউয়ের মধ্যেই চলমান কোনো নভোযানের পেছনের স্থান প্রসারিত করে  সামনের স্থান সংকুচিত করে মহাকাশের অসীম দূরত্ব ঘুচিয়ে দেবে। এখানে নভোযানটি বুদবুদের ভেতর তরঙ্গের ঠিক মধ্যখানে স্বাভাবিক সমতল স্থানে থাকতে পারবে। তরঙ্গটি নিজেই আলোর চেয়ে বেশি বেগে মহাবিশ্বের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে কার্যকরভাবে তরাঙ্গায়িত হতে থাকবে। “ওয়ার্মহোলের মতো একটি কার্যকর র‍্যাপ ড্রাইভ বানানোর ক্ষেত্রেও আমাদের বিপুল প্রযুক্তিগত চ্যালেন্জ্ঞ রয়েছে। এখানেও তরঙ্গের কাঠামো সৃষ্টির জন্য এক্সোটিক ম্যাটার প্রয়োজন। কিন্ত্ত কীভাবে করা সম্ভব, সেটি চিন্তা করতে গিয়ে পদার্থবিদেরা যেসব পদ্ধতির কথা বলেন, তা হয়তো অতি উন্নত কোন সভ্যতার পক্ষেই অর্জন করা সম্ভব। কারণ, এ ধরনের কোনো তরঙ্গ কাঠামো তৈরির জন্য বৃহস্পতির মতো দানবীয় কোনো গ্রহের সমান শক্তির দরকার।”(বিজ্ঞানচিন্তা, মে, ২০১৯, বর্ষ:৩, সংখ্যা:৮, পৃঃ ৭০)।         এ তথ্য সায়েন্স ফিকশনিস্টদের জন্য স্বাভাবিকভাবে হতাশা বয়ে আনতে পারে। তাই আশার বাণী নিয়ে এগিয়ে এলেন ২০১১ সালে নাসার জনসন স্পেস সেন্টারের অ্যাডভান্সড প্রোপালশন ফিজিকস ল্যাবরেটরির ইন্জ্ঞিনিয়ার হ্যারল্ড জি. সোনি হোয়াইট। সোনি বিকল্প প্রযুক্তির র‍্যাপ ড্রাইভের প্রস্তাব দেন। প্রস্তাবিত র‍্যাপ ড্রাইভে প্রয়োজন হবে না সমতল স্থানসম্পন্ন বুদবুদের (বাবল)। এটি শক্তি সাশ্রয়ীও। মাত্র কয়েক কিলোগ্রাম ভরশক্তিই যথেষ্ট যদিও বর্তমান ডিজিটাল প্রযুক্তি এ পরিমাণও বিরাট-বিশাল ব্যাপার! যাহোক, এ পরিমাণ ভরশক্তিতে টেকসই এবং বিশাল তরঙ্গমালা তৈরি করা সম্ভব হবে যা দিয়ে মস্তবড় একটা স্পেসশিপ অনায়াসে চালিয়ে নেয়া যেতে পারে। সুখের বিষয়, নাসার প্রকৌশলী সোনি হোয়াইটের প্রস্তাবিত র‍্যাপ ড্রাইভ নাসার গবেষণাগারে তাত্ত্বিকভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এতে যে যন্ত্র ব্যবহার করা হচ্ছে তার নাম র‍্যাপ ফিল্ড ইন্টারফেরোমিটার। তাত্ত্বিকভাবে যন্ত্রটি সম্ভাব্য র‍্যাপ সৃষ্টিকারী কোনো যন্ত্রের মাধ্যমে সৃষ্ট স্থানের জ্যামিতিতে খুবই ক্ষুদ্র পরিসরের পরিবর্তন শনাক্ত করতে পারবে। (প্রাগুক্ত পৃষ্ঠা ৭০) তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানী মিচিও কাকু প্রস্তাবিত র‍্যাপ ড্রাইভের মত প্রযুক্তি অর্জনের সম্ভাব্যতা সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে বলেন, টাইপ থ্রির মতো উন্নত কোনো এলিয়েন সভ্যতা হয়তো এরই মধ্যে আলোর গতির সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে উঠতে পেরেছে। তবে এ ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার করতে যে পরিমাণ শক্তির প্রয়োজন তা অর্জন করতে আমাদের মতো কোনো সভ্যতার আরও একহাজার বছর কিংবা তার চেয়ে বেশি সময় লেগে যেতে পারে। তাই আপাতত এক হাজার বছর অপেক্ষা করা ছাড়া কোনো উপায় নেই। আমাদের মতো স্বল্প আয়ুস্কাল মরণশীলদের হাজার বছর অনেক বেশি বটে। তাই হয়তো ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য অপেক্ষমান আগামীদিনের বিকল্প প্রযুক্তি ! টাইম মেশিন:ওয়ার্মহোল-র‍্যাপ ড্রাইভের বিকল্প পন্থা-১ বিভিন্ন সময়ে বহু বিজ্ঞানী (লিজুং ওয়াং, গুন্টার নিমস, অ্যালফন্স স্তালহফেন) দাবী করে আসছেন যে, তাঁরা আলোর চেয়ে বেশি গতিবেগে সংকেত প্রেরণের মাধ্যমে টাইম ট্রাভেলের ধারণাটি বাস্তবায়ন করেছেন, যদিও বাস্তবসম্মতভাবে পরীক্ষালব্ধ ফলাফল এখনো সব বিজ্ঞানীদের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পায়নি। টাইম ট্রাভেল শুধু তাত্ত্বিকভাবেই সম্ভব,বাস্তবিক অর্থে আলোর গতিতে না পৌঁছাতে পারলে সম্ভব না। সেক্ষেত্রে এমন একটি টাইম মেশিন নির্মাণ করা প্রয়োজন-যেখানে আলোর গতির কাছাকাছি গতি অর্জন করা সম্ভব। ফ্রাঙ্ক টিপলার তাত্ত্বিকভাবে প্রমাণ করেন যে, নিজের অক্ষের চারদিকে দ্রুত ঘূর্ণায়মান এক অসীম দৈর্ঘ্যের চোঙ আসলে একটি টাইম মেশিন। তাহলে অবশ্যই এর দ্বারা সময় ভ্রমণ সম্ভব। টিপলার অনুমান করেছিলেন যে,যথেষ্ট বেগে ঘূর্ণায়মান সসীম দৈর্ঘ্যের চোঙের সাহায্যেও সময় ভ্রমণের ধারণাটি বাস্তবায়ন করা যেতে পারে। আকাশ সিঁড়ি:সময় পরিভ্রমণের বিকল্প পন্থা-২- “সেদিন সম্ভবত খুব বেশি দূরে নয় যেদিন লিফটে চড়ে মানুষ মহাশুন্য পরিভ্রমণ করবে। তবে তাকে লিফট না বলে আকাশে ওঠার সিঁড়ি বলাই বোধ হয় সবচেয়ে উত্তম হবে”। (সূত্র: ১) মি’রাজ বিস্ময়কর: আল কোরআনে ও বিজ্ঞানে: কৃষিবিদ মোহাম্মাদ নূরুল ইসলাম, মাসিক মদীনা, পৃষ্ঠা: ৩৫, বর্ষ: ৩৮, সংখ্যা: ৮, শাবান ১৪২৩, নভেম্বর ২০০২। ”বিজ্ঞান প্রযুক্তির বিস্ময়কর সাফল্যের এই যুগে মানুষ যখন ক্রমশ সকল অসম্ভবকে সম্ভব করে তুলছে তখন মার্কিন মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র (নাসা) এ সুসংবাদ দিয়েছে বিশ্ববাসীকে জানাচ্ছে যে, মহাকাশ পরিভ্রমণের লিফট তৈরি হচ্ছে। এটি তৈরি করবে ‘ওটিস এভিলেটর’ নামক একটি প্রতিষ্ঠান। এ কাজে তাদের সময় লাগতে পারে বছর দশেকের মত। নাসার বিজ্ঞানীরা বলেছেন, এই লিফটগুলো হবে মূলত রকেটের ক্ষুদ্র সংস্করণ এবং এদের গতিবেগ রকেটের মতোই। তবে এতে লোকজন আরোহন করার পর বোতাম টিপলেই এর যাত্রা শুরু হবে এবং দেখা যাবে চোখের পলকে এটি মহাশুন্যের নির্ধারিত স্টেশনে এসে পৌঁছেছে”। (১) প্রাগুক্ত: পৃষ্ঠা ৩৫ (২) বিজ্ঞান ও প্রযু্ক্তির আলোকে পবিত্র ইসরা এবং মিরাজুন্নবী সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লামঃ পরিপ্রেক্ষিত নিউট্রিনো আবিস্কার: মাসিক নেদায়ে ইসলাম, পৃষ্ঠা: ১১, বর্ষ: ৭৬, সংখ্যা: ১০, এপ্রিল ২০১৭। Website: furfura.com নিরাপদ-নির্বিঘ্ন মহাকাশ পরিভ্রমণে কতিপয় সীমাবদ্ধতা: মহাকাশীয় পরিবেশ ভূ-প্রাকৃতিক এবং বায়ুমণ্ডলীয় আবহাওয়ার ধারণা থেকে ভিন্ন। প্রাকৃতিক প্লাজমা, চৌম্বক ক্ষেত্র, বিকিরণ এবং মহাকাশীয় বস্তুসমূহ নিয়েই গঠিত হয় মহাকাশীয় পরিবেশ। মার্কিন জাতীয় বিজ্ঞান একাডেমির ভাষ্যমতে: "মহাকাশীয় পরিবেশ, পৃথিবী এবং আমাদের প্রযুক্তিগত ব্যবস্থায় প্রভাববিস্তারকারী মহাকাশীয় পরিস্থিতির ব্যাখ্যা করে।পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্র, সূর্যের আচরণ এবং সৌরজগতে পৃথিবীর অবস্থানই আমাদের মহাকাশীয় পরিবেশের উৎস।"(তথ্য সূত্রঃ https://bn.wikipedia.org/wiki/মহাকাশ_যাত্রা) পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের বাইরে ভ্যান অ্যালেন বেষ্টনীর বিকিরণ, সৌর বিকিরণ, ক্ষুদ্র গ্রহাণুকণার অস্তিত্ব  এবং মহাজাগতিক বিকিরণ জনিত সমস্যা রয়েছে। তাছাড়া, পৃথিবী প্রদক্ষিণরত মহাকাশযানের অভ্যন্তরে ক্ষীণমহাকর্ষীয় পরিবেশ তৈরি হয়, যেখানে ওজনহীনতা অনুভব করা যায়। ক্ষীণমহাকর্ষীয় পরিবেশে স্বল্পকালীন অবস্থান করলে মহাকাশ অভিযোজন উপসর্গ দেখা দিতে পারে; এ পরিবেশে দীর্ঘস্থায়ী অবস্থান একাধিক স্বাস্থ্যগত সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে, যার মধ্যে প্রধান হচ্ছে হাড়ক্ষয়,  পেশী এবং সংবহনতন্ত্রের দূর্বলতা ইত্যাদি। তাছাড়া, স্বাস্থ্যের ওপর মহাজাগতিক বিকিরণের প্রভাবে ক্যান্সারের সম্ভাবনাও বিদ্যমান থাকে। (তথ্য সূত্রঃ https://bn.wikipedia.org/wiki/মহাকাশ_যাত্রা) এমতাবস্থায় নাসা কর্তৃক উৎক্ষেপিত যাত্রীবাহী মহাকাশযানে পরিবেশ নিয়ন্ত্রণ ও নিরাপত্তার জন্য  ইসিএলএসএস নামক প্রতিষ্ঠান কার্যকর ভূমিকা পালন করছে। । এ লক্ষ্যে পর্যাপ্ত বাতাস, পানি এবং খাদ্যের ব্যবস্থা, এবং যাত্রীদের স্বাভাবিক শারীরিক তাপমাত্রা ও চাপ বজায় রাখা এবং শারীরিক বর্জ্য অপসারণ ব্যবস্থা রয়েছে। মহাজাগতিক পরিভ্রমণ প্রক্রিয়ায় ঝুঁকি কম নয়।  ১৯৮৬ সালের ২৮ জানুয়ারি তারিখে ফ্লোরিডা থেকে উৎক্ষেপনের ৭৩ সেকেন্ড পর মহাকাশযান চ্যালেঞ্জার বায়ুমণ্ডলে বিস্ফোরিত হয়ে ধ্বংস হয়ে যায়। এতে মহাকাশযানে অবস্থানকারী সাতজন যাত্রীই নিহত হন। এ দুর্ঘটনার কারণ ছিল চ্যালেঞ্জারের ডানপাশের রকেট বুস্টারের একটি সংযোগস্থলের দুর্বলতা। উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের ৩০ জুন সোভিয়েত রাশিয়ার নভোচারীরা চন্দ্র বিজয়ের উদ্দেশ্যে তাদের মহাকাশযান উৎক্ষেপন করেছিল। কিন্ত্ত ৩ রাশিয়ান নভোচারী পৃথিবীতে ফিরে আসেন মৃত অবস্থায়। গত বিংশ শতাব্দীতে মহাকাশ উড্ডয়নকালীন, প্রশিক্ষণকালীন অন্ততঃ ৩০ জন মহাকাশচারী/নভোচারীর মৃত্যু ঘটে।   ২০০৪ সালে নেদারল্যান্ডে আন্তর্জাতিক মহাকাশ নিরাপত্তা উন্নতি সংস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়, যার উদ্দেশ্য মহাকাশ ব্যবস্থাপনা পদ্ধতিসমূহের নিরাপত্তা ও নির্ভরযোগ্যতা বৃদ্ধিতে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার প্রসার ঘটানো। (তথ্য সূত্রঃ (i) https://bn.wikipedia.org/wiki/মহাকাশ_যাত্রা (ii) https://americabangla.com/science-and-technology/আজ_অব্দি_কতজন_নভোচারী) ঘুমানোর সমস্যা: বাসা বাড়ির মতো আরামদায়ক কোনো বিছানার ব্যবস্থা থাকে না মহাশুন্যে নভোচারীদের, তাদের দেহকে তারা স্পেস ক্রাফটের একটি সাইডে নিজেদের বেঁধে নেন, যাতে করে তারা এদিক ওদিক ভেসে না বেড়ান| এমনকি তারা নিজেদের দুই হাত বুকে জড়িয়ে ঘুমাতে পারেন না| তাদের দুই হাত তাদের সামনে সোজা হয়ে ভাসতে থাকে| ঘুমন্ত নভোযাত্রীদের ভেন্টিলেশনের ব্যাপারটা মাথায় রাখতে হয়, না হলে তো তারা কার্বন ডাই অক্সাইড গ্রহণ করে স্বাস্থ্য ঝুঁকির সম্ভাবনা বেড়ে যেতে পারে। খাওয়া-দাওয়া: যখন একজন নভোচারী নভোযানে উঠেন তখন তার পছন্দনীয় সকল খাবার-দাবার খাওয়ার শখ পৃথিবীতে রেখে যেতে হয় কয়েক মাসের জন্য। খেতে হয় ইউএস, জাপান, রাশিয়াতে প্রস্তুতকরা প্যাকেটজাত ডিহাইড্রেটেড খাবার| বাসনপত্র অনেক চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে, এমনকি ছুরি বা কাটাচামচের খোঁচায় যন্ত্রাংশের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, তাই এগুলো পৃথিবীতেই রেখে যেতে হয়। বিষন্নতার কবলে মহাকাশচারী: সময় পরিভ্রমণের অন্যতম উদ্দেশ্য, পৃথিবীর যাবতীয় বিষন্নতা ঝেড়ে ফেলার জন্য । কিন্তু নভোচারীরা মহাকাশে গিয়ে বরং সংগতকারণে ভূগেন সেই বিষন্নতায়। পৃথিবীর কক্ষপথে ভ্রমণ অত্যন্ত একটি রোমাঞ্চকর ব্যাপার, কিন্তু এটা অনেক সময় মানসিক একটি শ্রমে পরিণত হতে পারে এবং নভোচারীদের মনকে অবসাদে আচ্ছন্য করে দিতে পারে| অনেক নভোচারী এটা স্বীকার করছেন যে, দীর্ঘ সময় কাল ধরে মহাকাশ যান চালনা এবং যে সকল অভিযান চলে মহাকাশে সেই অভিযানগুলোতে মনের মধ্যে একটা ভয় ও সংশয় কাজ করে কারণ মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার খরচ হয় সেসব অভিযানে| আর এর থেকে তারা একাকিত্ব, বিষন্নতা ও মানসিক চাপে থাকেন। প্রয়োজন: নিরাপদ-নির্বিঘ্ন  সময় পরিভ্রমণের উপায়-অবলম্বন প্রযুক্তির উদ্ভাবন: কল্পনাও হতে হবে আকাশ কুসুমের উর্ধ্বে বাস্তবতার নিরীখে। তাহলেই হয়তো কল্পনা বাস্তবতায় রূপ লাভ করতে পারে সহজেই। পাখির মত আকাশে উড়ার কল্পনাটি বাস্তবতার সাথে সম্পৃক্ত থাকায় তা বিমান প্রযুক্তির মাধ্যমে দ্রুত সময়ে বাস্তব রূপ লাভ করে অতি সহজেই। কিন্ত্ত অকল্পনীয় বিশাল দূরত্ব অতিক্রম করে মহাবিশ্বের এ ফোঁড় দিয়ে অপর ফোঁড়ে পৌঁছা, আবার নিরাপদে ফিরে আসার কল্পনা বাস্তবতা থেকে অ-নে-ক অ-নে-ক দূরে বৈকি। স্পেনের Autonomous University of Barcelona এর রিসার্চাররা সত্যিই যদি ওয়ার্মহোল কিংবা র‍্যাপ ড্রাইভ অথবা ‘ওটিস এভিলেটর’ প্রতিষ্ঠান আকাশ সিঁড়ি বানিয়ে ফেলল। তাতেই কি সময় পরিভ্রমণ আমাদের পক্ষে সম্ভবপর হবে? প্রথমতঃ দরকার ভ্রমণের জন্য আর্থিক সামর্থ্য, প্রয়োজনীয় মহাকাশীয় রসদ সংগ্রহ, জরুরী প্রশিক্ষণ। সবচেয়ে বড় ফ্যাক্টর স্বাস্থ্যোপযোগিতা। কারণ, মহাকাশে মানব জীবন ধারণের জন্য মোটেও উপযোগী পরিবেশ-প্রতিবেশ নেই। উল্লেখ্য, আমরা যদি আলোর গতি (প্রতি সেকেন্ডে ৩,০০,০০০ কি.মি. বা ১,৮৬,০০০ মাইল) অর্জন করি তাহলে মহাকাশের গভীর থেকে গভীর অভ্যন্তরে পৌঁছতে নিম্নরূপ বাস্তবতার সম্মুখীন হতে হবে: (ক) পৃথিবী থেকে অন্তত ৪০ ট্রিলিয়ন কি.মি. দূরত্বে অবস্থিত সূর্যের নিকটবর্তি প্রক্সিমা সেন্টেরাই এর উদ্দেশ্য যাত্রা শুরু করলে  ১ (এক) বছরে আমাদের পাড়ি দিতে হবে ৯.৪৬ ট্রিলিয়ন কি.মি. পথ এবং সেখানে পৌছাতে আমাদের মোট পাড়ি দিতে সময় লাগতে পারে ৪ দশমিক ৩৭ আলোক বর্ষ, (খ) আমাদের অদূরবর্তী নিজস্ব ছায়াপথ বা (মিল্কিওয়ে) এর একপ্রান্ত থেকে অপর প্রান্ত ঘুরে বেড়াতে পাড়ি দিতে সময় লাগতে পারে ১০ লাখ আলোক বর্ষ (গ) আর গোটা মহাবিশ্ব পরিভ্রমণে লাগতে পারে কমপক্ষে  ৪৬ দশমিক ৫ বিলিয়ন আলোক বর্ষ। (সূত্র: বিজ্ঞানচিন্তা, মে-২০১৯, বর্ষ: ৩, সংখ্যা-৮)। এটা চিরন্তন সত্য যে, মানুষ মরণশীল (Man is Mortal) প্রাণী। সুতরাং, আলোর চাইতে অধিক গতিসম্পন্ন প্রযুক্তি ব্যতিত মহাকাশে সময় পরিভ্রমণ আকাশ কুসুম কল্পনাই বটে। তাই আমাদের সামনে এ ব্যাপারে দুটি করণীয় রয়েছে ১) অপেক্ষমান হওয়া নচেৎ ২) বিকল্প পথ-পন্থার উদ্ভাবন। অপেক্ষমান হতে হলে কত কাল? এ ব্যাপারে বিজ্ঞানীদের ভাষ্য কমপক্ষে ১ (এক) হাজার বছর। তাও আবার সুনিশ্চিত নয়। অর্থাৎ এটাও নিশ্চিত নয় যে, বেশিদিন অপেক্ষমান থাকার পর এ ধরণের প্রযুক্তি আদৌ অর্জিত হবে কি-না। তবে, আশা করা হচ্ছে যে, হয়তো বর্তমান বিজ্ঞান-প্রযুক্তিতে যদিও সময় ভ্রমণ এক দীর্ঘমেয়াদী, অনিশ্চিত ব্যাপার কিন্তু ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য এমন এক উন্নত বিজ্ঞান-প্রযুক্তি উদ্ভব ঘটতে পারে যা অকল্পনাতীত বিষয়গুলো বাস্তবরূপ লাভ করতে পারে।  তা অতি সহজ-সরল যা হয়তো আমাদের জন্য বর্তমানে কল্পনাতীত বিষয়। বিজ্ঞানীরা বর্তমান প্রচলিত বিজ্ঞান-প্রযুক্তিতে আরো উৎকর্ষতা অর্জন করে নতুন ধাঁচের বিজ্ঞান-প্রযুক্তি প্রবর্তনের চিন্তা-ভাবনা বিগত বিংশ শতাব্দীতে শুরু করেছিলেন এবং ভবিষ্যত নতুন এই বিজ্ঞানের নামকরণও করেছিলেন ফ্রন্টিয়ার সায়েন্স (Frontier Science) নামে। আশা করা যায়, প্রস্তাবিত ফ্রন্টিয়ার সায়েন্সের মাধ্যমে Transcendental Principle অর্থাৎ অলৌকিক বা মানুষের জ্ঞানে কুলায় না-এমন বিষয়ের বৈজ্ঞানিক রহস্যের কুল কিনারা পাওয়া যেতে পারে যাতে বিশ্বময় সময়ে সময়ে সংঘটিত অনেক ঘটনা-দূর্ঘটনাকে অবিশ্বাস্য হলেও সত্য, অতিপ্রাকৃতিক, ভূতুড়ে কান্ড, অবলীলাক্রমে, দৈবক্রমে, ভাগ্যক্রমে কিংবা টেলিপ্যাথি প্রভৃতি চিরাচরিত ভাষা-পরিভাষায় এড়িয়ে যাওয়ার যে প্রবণতা আবহমানকাল ধরে চলে আসছিল তা থেকে সত্যানুসন্ধানী বিজ্ঞানীরা নিস্কৃতি পেতে পারে। তাছাড়া, সত্যকে জানার আগ্রহ হতে যে বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রা শুরু সম্ভবত সে সত্যে প্রস্তাবিত ফ্রন্টিয়ার সায়েন্সের মাধ্যমে পৌঁছানো হয়তো সম্ভবপর হতে পারে অর্থাৎ প্রস্তাবিত সায়েন্সে হয়তো সম্ভব হতে পারে ওয়ার্মহোল, র‍্যাপ ড্রাইভ, আকাশ সিঁড়ি, টাইম মেশিন ইত্যাদি নির্মাণ এবং সম্ভবপর হতে পারে বহুল প্রত্যাশিত বিশাল মহাকাশে অতি দ্রুতগতিতে অবাধ, নিরাপদ এবং স্বাচ্ছন্দ্যময় সময় পরিভ্রমণ। আরও দেখুন রবার্ট এ হাইনলাইন আইজাক আসিমভ; জুল ভার্ন আর্থার সি ক্লার্ক বাংলা বিজ্ঞান কল্পকাহিনী হারবার্ট জর্জ ওয়েলস আলেক্সান্দ্‌র বেলায়েভ তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ বিষয়শ্রেণী:বিজ্ঞান কল্পকাহিনী
বিজ্ঞান কল্পকাহিনী
টাকি বলতে বোঝানো হতে পারে - টাকি/টাকী - ভারতের পশ্চিমবঙ্গে অবস্থিত একটি গঞ্জ এলাকা; টাকি - এক প্রকার মাছবিশেষ; টাকি - একটি ফরাসি শব্দ; টাকি - একটি স্প্যানীশ শব্দ।
টাকি (দ্ব্যর্থতা নিরসন)
thumb|দানাদার চিনি চিনি এক প্রকার সুমিষ্ট পদার্থ যা গাছ বা ফলের রস থেকে প্রস্তুত করা হয়। ভারতবর্ষে সাধারণত আখ বা ইক্ষুর রস থেকে চিনি তৈরি করা হয়। এছাড়া বীট এবং ম্যাপল চিনির অন্য দুটি প্রধান বনজ উৎস। চিনির রাসায়নিক নাম সুক্রোজ। এক অণু গ্লুকোজের সঙ্গে এক অণু ফ্রুক্টোজ জুড়ে এক অণু সুক্রোজ তৈরি হয়। রসায়নাগারে যে চিনি প্রস্তুত করা হয় তা প্রধানত: ঔষধে ব্যবহার করা হয়। চিনি উদ্ভিদের টিস্যুতে সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায়, কিন্তু সুক্রোজ বিশেষ করে আখ এবং চিনির বীজতে কেন্দ্রীভূত থাকে, বাণিজ্যিকভাবে আদর্শমানের চিনি তৈরীর জন্য পরিশ্রুত করতে দক্ষ নিষ্কাশন প্রয়োজন । প্রায় ৬০০০ খ্রিস্টপূর্ব হতে দক্ষিণ এশিয়া এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াতে গ্রীষ্মপ্রধান দেশে চিনির উৎপত্তি হয়। চিনির কাজঃ চিনি এক প্রকার শর্করা, যা খেলে আমাদের দেহে শক্তি যোগায়। left|thumb|220px|চিনির কেলাসের ছবি বহিঃসংযোগ চিনির কারখানা বিষয়শ্রেণী:জৈব যৌগ বিষয়শ্রেণী:শর্করা বিষয়শ্রেণী:কার্বন যৌগ
চিনি
মে গ্রেগরীয় ক্যালেন্ডার বা খ্রিস্টীয় বর্ষপঞ্জী অনুসারে বছরের পঞ্চম মাস। এ মাসে মোট ৩১ দিন। মে মাসে উত্তর গোলার্ধে বসন্ত কাল এবং দক্ষিণ গোলার্ধে শরৎ কাল থাকে। যার ফলে দক্ষিণ গোলার্ধে মে মাস হল উত্তর গোলার্ধের নভেম্বর মাসের সমতুল্য। মে মাসের শেষ দিক থেকে মূলত গ্রীষ্মকালীন ছুটি শুরু হয়। মে মাসের প্রতীক মে মাসের প্রতীক হল পান্না, যা ভালোবাসা ও সাফল্য নির্দেশ করে। রাশিচক্রে মে মাসে জন্মগ্রহণকারীদের মধ্যে ২০ মের পূর্বে জন্মগ্রহণকারীরা বৃষ রাশির জাতক এবং ২০ মের পরে জন্মগ্রহণকারীরা মিথুন রাশির জাতক। উৎযাপন ১ মে মে দিবস - আন্তর্জাতিক সশস্ত্র বাহিনী দিবস - মৌরিতানিয়া বেল্টেন - আয়ারল্যান্ড সংবিধান দিবস - আর্জেন্টিনা ২ মে দস দে মায়ো বিদ্রোহ বার্ষিকী - মাদ্রিদ সম্প্রদায়, স্পেন তৃতীয় দ্রুক গ্যাল্পোর জন্মবার্ষিকী - ভুটান পতাকা দিবস - পোল্যান্ড জাতীয় শিক্ষা দিবস - ইন্দোনেশিয়া শিক্ষক দিবস - ইরান ৩ মে বিশ্ব প্রেস স্বাধীনতা দিবস সংবিধান দিবস - পোল্যান্ড সংবিধান স্মারক দিবস - জাপান রোডমাস ৪ মে স্টার ওয়ার্স দিবস - আন্তর্জাতিক পক্ষী দিবস - মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যুব দিবস - ফিজি ৫ মে শিশু দিবস - জাপান ও কোরিয়া সংবিধান দিবস - কিরগিজিস্তান রাজ্যাভিষেক দিবস - থাইল্যান্ড ইউরোপ দিবস - ইউরোপ স্বাধীনতা দিবস - ডেনমার্ক ও নেদারল্যান্ডস শহীদ দিবস - আলবেনিয়া ৬ মে শহীদ দিবস - গ্যাবন, লেবানন ও সিরিয়া শিক্ষক দিবস - জামাইকা পুলিশ দিবস - জর্জিয়া ৭ মে পিতৃভূমি রক্ষা দিবস - কাজাখস্তান বেতার দিবস - রাশিয়া ও বুলগেরিয়া ৮ মে বিশ্ব রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট দিবস - আন্তর্জাতিক মিগেল হিদাল্গোর জন্মদিন - মেক্সিকো ট্রুম্যান দিবস - মিসৌরি, যুক্তরাষ্ট্র ৯ মে ইউরোপ দিবস - ইউরোপীয় ইউনিয়ন স্বাধীনতা দিবস - গার্নসি ও জার্সি বিজয় দিবস - সোভিয়েত ইউনিয়ন রাষ্ট্রসমূহ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নাৎসিদের বিরুদ্ধে বিজয় - ইউক্রেন ১০ মে শিশু দিবস - মালদ্বীপ সংবিধান দিবস - মাইক্রোনেশিয়া স্বাধীনতা দিবস - রোমানিয়া ১১ মে জাতীয় প্রযুক্তি দিবস - ভারত মানবাধিকার দিবস - ভিয়েতনাম ১২ মে আন্তর্জাতিক নার্স দিবস ১৩ মে অ্যাবট্‌সবারি গারল্যান্ড দিবস - ডরসেট, ইংল্যান্ড ১৪ মে হ্যাস্টিং বান্দার জন্মদিন - মালাওয়ি জাতীয় একত্রীকরণ দিবস - লাইবেরিয়া ১৫ মে সামরিক দিবস - স্লোভেনিয়া স্বাধীনতা দিবস - প্যারাগুয়ে শান্তীরক্ষী স্মারক দিবস - মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রজাতন্ত্র দিবস - লিথুনিয়া ১৬ মে জাতীয় দিবস - দক্ষিণ সুদান শিক্ষক দিবস - মালয়েশিয়া গণ কবর দিবস - ইরাক ১৭ মে বিশ্ব উচ্চ রক্তচাপ দিবস - আন্তর্জাতিক নৌ দিবস - আর্জেন্টিনা শিশু দিবস - নরওয়ে সংবিধান দিবস - নাউরু ও নরওয়ে স্বাধীনতা দিবস - কঙ্গো প্রজাতন্ত্র ১৮ মে বিশ্ব জাদুঘর দিবস - আন্তর্জাতিক পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয় দিবস - হাইতি বাল্টিক ঘাঁটি দিবস - রাশিয়া লাস পিয়েদ্রাস যুদ্ধ দিবস - উরুগুয়ে শিক্ষক দিবস - সিরিয়া ১৯ মে গ্রিক গণহত্যা স্মরণ দিবস - গ্রিস ম্যালকম এক্স দিবস - মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র হেপাটাইটিস পরীক্ষণ দিবস - মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র হো চি মিনের জন্মদিন - ভিয়েতনাম ২০ মে জাতীয় দিবস - ক্যামেরুন স্বাধীনতা দিবস - কিউবা ও পূর্ব তিমুর ২১ মে আফ্রো-কলম্বিয়ান দিবস - কলম্বিয়া নৌ দিবস - চিলি সেন্ট হেলেনা দিবস ২২ মে জাতীয় সার্বভৌমত্ব দিবস - হাইতি প্রজাতন্ত্র দিবস - শ্রীলঙ্কা হার্ভি মিল্ক দিবস - ক্যালিফোর্নিয়া ২৩ মে বিশ্ব কাছিম দিবস - আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস - জামাইকা শিক্ষার্থী দিবস - মেক্সিকো সংবিধান দিবস - জার্মানি ২৪ মে কমনওয়েলথ দিবস - বেলিজ স্বাধীনতা দিবস - ইরিত্রিয়া ২৫ মে আফ্রিকা দিবস - আফ্রিকান ইউনিয়ন আফ্রিকান স্বাধীনতা দিবস - আফ্রিকান ইউনিয়ন জাতীয় ট্যাপ ড্যান্স দিবস - মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জাতীয় দিবস - আর্জেন্টিনা মে বিপ্লব - আর্জেন্টিনার জাতীয় ছুটির দিন যুব দিবস স্বাধীনতা দিবস - জর্ডান ও লেবানন ২৬ মে মা দিবস - পোল্যান্ড যুবরাজের জন্মদিন - ডেনমার্ক স্বাধীনতা দিবস - গায়ানা ও জর্জিয়া ২৭ মে দাসপ্রথা রদ দিবস - গুদেলোপ, সেন্ট বার্থেলামি নৌ দিবস - জাপান মা দিবস - বলিভিয়া শিশু দিবস - নাইজেরিয়া সশস্ত্র বাহিনী দিবস - নিকারাগুয়া ২৮ মে পতাকা দিবস - ফিলিপাইন প্রজাতন্ত্র দিবস - নেপাল স্বাধীনতা দিবস - আর্মেনিয়া সশস্ত্র বাহিনী দিবস - ক্রোয়েশিয়া ২৯ মে গণতন্ত্র দিবস - নাইজেরিয়া সামরিক দিবস - আর্জেন্টিনা ৩০ মে অ্যাঙ্গুইলা দিবস - অ্যাঙ্গুইলা মা দিবস - নিকারাগুয়া পার্লামেন্ট দিবস - ক্রোয়েশিয়া ৩১ মে বিশ্ব মাদক মুক্ত দিবস - আন্তর্জাতিক তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ বিষয়শ্রেণী:মে বিষয়শ্রেণী:মাস বিষয়শ্রেণী:ইংরেজি মাস
মে
ঘটনাবলী ১৮৩৮- হাতে কলমে টেলিগ্রাফের কার্যকারিতা প্রদর্শন করেন স্যামুয়েল মোর্স। ১৯৫০ - ব্রিটেন কমিউনিস্ট চীনকে স্বীকৃতি দেয়। ১৯৭২ - মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাইরাস ভ্যান্স হাঙ্গেরীয় হাজার বছরের প্রতীক সেন্ট স্টিফেনের মুকুট হাঙ্গেরীকে ফিরিয়ে দেয়। ১৯৯৬ - যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিসহ পূর্ব উপকূলে মারাত্মক তুষার ঝড়ে ১৫৪ জন নিহত, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় তিনশ কোটি ডলার। ২০০১ - জর্জ ডব্লিউ বুশকে মার্কিন কংগ্রেস কর্তৃক নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট হিসেবে ঘোষণা। ২০২০ - ২০০ বছর পর আমেরিকার কংগ্রেসের ক্যাপিটল বিল্ডিংয়ে (মার্কিন পার্লামেন্ট) ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থকরা হামলা চালায়। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটল হিস্টোরিকাল সোসাইটির তথ্য অনুযায়ী, ১৮১২ সালের যুদ্ধের পর এই প্রথম যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটলে এই ধরণের আগ্রাসন হল। ১৮১৪ সালে ওয়াশিংটনে অভিযান চালানের সময় ব্রিটিশ বাহিনী নির্মাণাধীন ক্যাপিটল ভবনে আগুন জালিয়ে দেয়। প্রায় ২০০ বছর পর এ হামলা হয়। জন্ম ১৩৬৭ - ইংল্যান্ডের রাজা দ্বিতীয় রিচার্ড। ১৩৮৪ - এডমুন্ড হল্যান্ড ইংরেজ সাহিত্যিক। ১৪১২ - জোন অব আর্ক, পরাধীন ফ্রান্সের মুক্তিদাত্রী বীরকন্যা। (মৃ. ১৪৩১) ১৭০৬ - বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন, মার্কিন লেখক, রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক, ও কূটনীতিবিদ। (মৃ. ১৭৯০) ১৮৫১ - অম্বিকাচরণ মজুমদার, বাঙালি রাজনীতিবিদ,আইনজীবী, সমাজসেবী এবং ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি ছিলেন।(মৃ. ১৯২২) ১৯১৩ - লরেট্টা ইয়াং, মার্কিন অভিনেত্রী। (মৃ. ২০০০) ১৯৩৬ - বশীর আল-হেলাল, একজন বাংলাদেশী লেখক, কথা সাহিত্যিক এবং ঔপন্যাসিক। ১৯৫৪ - অ্যান্টনি মিনজেলা, ব্রিটিশ চলচ্চিত্র পরিচালক, নাট্যকার ও চিত্রনাট্যকার। (মৃ. ২০০৮) ১৯৫৫ - রোয়ান অ্যাটকিনসন, ব্রিটিশ লেখক, অভিনেতা এবং কৌতুকাভিনেতা। ১৯৫৯ - কপিল দেব, ভারতীয় ক্রিকেটের অন্যতম অলরাউন্ডার। ১৯৬৬ - ভারতীয় সঙ্গীত পরিচালক এ আর রহমান ১৯৬৭ - এ আর রহমান, একজন ভারতীয় তামিল প্রবল জনপ্রিয় সঙ্গীত পরিচালক। ১৯৭৩ - রুদ্রনীল ঘোষ, একজন ভারতীয় বাঙালি অভিনেতা ১৯৮২ - এডি রেডমেইন, ইংরেজ মঞ্চ ও চলচ্চিত্র অভিনেতা। ১৯৮৬ - ইরিনা শায়ক, রুশ মডেল এবং অভিনেত্রী। মৃত্যু ১৮৫২ - অন্ধদের শিক্ষা পদ্ধতির প্রবর্তক লুই ব্রেইল প্রয়াত হন।(জ.০৪/০১/১৮০৯) ১৮৮৪ - গ্রেগর ইয়োহান মেন্ডেল,অস্ট্রিয় ধর্মযাজক ও বংশগতির প্রবক্তা।(জ.২০/০৭/১৮২২) ১৯১৮ - গেয়র্গ কান্টর, একজন জার্মান গণিতবিদ ও দার্শনিক। ১৯১৯ - থিওডোর রুজ্‌ভেল্ট, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ২৬তম রাষ্ট্রপতি।(জ.২৭/১০/১৮৫৮) ১৯৭১ - প্রতুল চন্দ্র সরকার পি সি সরকার নামে সুপরিচিত ভারতের প্রখ্যাত জাদুকর। (জ.২৩/০২/১৯১৩) ১৯৮০ - দিলীপকুমার রায়, বাঙালি সংগীতজ্ঞ, সংগীতালোচক, গীতরচয়িতা, সুরকার ও গায়ক। (জ. ২২/০১/১৮৯৭) ১৯৮৪ - আঙুর বালা, বাঙালি গায়িকা এবং মঞ্চাভিনেত্রী। ১৯৮৯ - সৎবন্ত সিংহ, ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধির দেহরক্ষী, হত্যাকারী। ২০০৪ - সুমিতা দেবী, বাংলাদেশের প্রথিতযশা চলচ্চিত্র শিল্পী। ছুটি ও অন্যান্য বাংলাদেশ কৃষি শুমারী দিবস। বহিঃসংযোগ বিবিসি: এই দিনে দি নিউইয়র্ক টাইমস: এই দিনে বিষয়শ্রেণী:গ্রেগরীয় পঞ্জিকার দিন বিষয়শ্রেণী:জানুয়ারি
৬ জানুয়ারি
বুধবার () সপ্তাহের একটি দিন যেটির অবস্থান মঙ্গলবারের পর এবং বৃহস্পতিবারের পূর্বে। বাংলাদেশে প্রচলিত পদ্ধতি অনুসারে এটি সপ্তাহের পঞ্চম দিবস। ভারতীয় ভাষা-রীতিতে ভারতীয় জ্যোতির্বিদ্যায় বুধ নামে অভিহিত করা হয়েছে; বুধ বলতে বুধ গ্রহকে বুঝানো হয় যে দেবী সোমা ('চন্দ্র'-এর অন্য নাম)-এর পুত্র তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:সপ্তাহের দিন
বুধবার
ভালুক বা ভল্লুক শ্বাপদ বর্গের (order carnivora) স্তন্যপায়ী প্রাণী। পৃথিবিতে আট রকম প্রজাতির ভাল্লুক পাওয়া যায় । সাধারণত ভালুকের চেহারা ভারী এবং পা ছোট আর মোটা হয় । ভালুকের মুখ লম্বাটে, গায়ে বড় বড় লোম । ভালুকের থাবায় পাঁচটি আঙ্গুল আর আঙ্গুলে নখ থাকে । নামকরণ ভাল্লুকের নাম বিয়ার এসেছে পুরাতন ইংরেজি বেরা থেকে এবং পরিবার নাম এসেছে ভাল্লুকের জার্মান নাম থেকে। রঙ সব ভাল্লুকের গায়ের রঙ একরকম নয়। যেমন, আমেরিকান কালো ভাল্লুকের গায়ের রঙ কালো, বাদামি, নীলাভ কালো ইত্যাদি হয়ে থাকে। সূর্য ভাল্লুকের (sun bear)বুকের রঙ ধূসর এবং মুখে বিভিন্ন রকমের দাগ থাকে। অন্যদিকে মেরু ভালুক হয় সাদা রঙের, তবে এদের সাদা রঙের লোম এর নিচে কালো লোম থাকে। আচরণ মা ও শাবক ছাড়া বাকি সব ভালুকই একা বাস করে। তবে মাঝে মাঝে তারা দল বেঁধে খাবার খোঁজে। খাবারের খোঁজে এরা বিশাল এলাকা ঘুরে বেড়ায়। ভালুক তার খাবার সংগ্রহের পথ ভালভাবে মনে রাখে। অধিকাংশ ভালুকই গাছে চড়তে পারে। তাদের শক্তিশালী থাবা ও ধারালো নখ এ কাজে সাহায্য করে। ঝগড়া করার সময় ভালুক প্রতিপক্ষকে ভয় দেখানোর জন্য দুই পায়ে দাঁড়িয়ে যায়। ভাল্লুক প্রজাতি ১। সূর্য ভাল্লুক। ২। এশীয় কালো ভাল্লুক। ৩। বাদামি ভাল্লুক। ৪। মেরু ভালুক। ৫। আমেরিকান কালো ভাল্লুক। ৬। এশীয় কালো ভাল্লুক। ৭। পান্ডা। ৮। চশমাছোপ ভাল্লুক। তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ The Bears Project – Information, reports and images of European brown bears and other living species Western Wildlife Outreach – Information on the history, biology, and conservation of North American Grizzly Bears and Black Bears The Bear Book and Curriculum Guide – a compilation of stories about all eight species of bears worldwide, including STEM lessons rooted in bear research, ecology, and conservation বিষয়শ্রেণী:শ্বাপদ বিষয়শ্রেণী:স্তন্যপায়ী প্রাণী বিষয়শ্রেণী:ভাল্লুক
ভাল্লুক
thumb|right|200px|ভিলহেল্ম কনরাড র‌ন্টগেন, পদার্থবিজ্ঞানে প্রথম নোবেল পুরস্কার বিজয়ী রাজকীয় সুয়েডীয় বিজ্ঞান একাডেমি প্রতি বছর একবার পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার (সুয়েডীয় ভাষায়: Nobelpriset i fysik) প্রদান করে। বিজ্ঞানী আলফ্রেড নোবেল-এর উইল অনুযায়ী পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, চিকিৎসাবিজ্ঞান, শান্তি এবং সাহিত্য এই পাঁচটি বিভাগে নোবেল পুরস্কার প্রদান শুরু হয়েছিল ১৯০১ সালে। নোবেল ১৮৮৫ সালে এই পাঁচটি বিষয়ের ব্যাপারে উইল করে গিয়েছিলেন। প্রথম পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তি হলেন জার্মান বিজ্ঞানী ভিলহেল্ম কনরাড র‌ন্টগেন। এক্স-রশ্মিসহ এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ রশ্মি আবিষ্কারের মাধ্যমে বিজ্ঞানের জগতে বিশেষ অবদান রাখার জন্য তাকে সেবার পুরস্কার দেয়া হয়। নোবেল ফাউন্ডেশন কর্তৃক এই পুরস্কার প্রশাসিত হয় এবং পদার্থবিজ্ঞানের সব পুরস্কারের মধ্যে একে সবচেয়ে মর্যাদাকর বিবেচনা করা হয়। প্রতি বছর ১০ ডিসেম্বর আলফ্রেড নোবেলের মৃত্যুবার্ষিকীর দিন সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ২০১৬ সালে পদার্থের টপোগাণিতিক দশা এবং এর টপোগাণিতিক দশা রূপান্তরের উপর তাত্ত্বিক গবেষণার জন্য এ পুরস্কার পেয়েছেন ডেভিড জে. থলেস, ডানকান হল্ডেন এবং মাইকেল কস্টারলিৎজ। তারা প্রত্যেকে ১০,০০০,০০০ সুইডিশ ক্রোনা বা প্রায় ১৪ লাখ মার্কিন ডলার অর্থ পেয়েছেন। পুরস্কারপ্রাপ্তদের তালিকা ২০১৬ সাল পর্যন্ত মোট ২০৬জন পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন। এখানে ১৯০১ সাল থেকে বর্তমান পর্যন্ত পুরস্কারপ্রাপ্তদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা দেয়া হল। ১৯০১-১৯৯৯ ২০০০-২০৯৯ জাতীয়তা অনুযায়ী মর্যাদাক্রম একটি জাতি একই বছরে কেবল একবার গণনার মধ্যে এসেছে। জার্মান উইকিপিডিয়া অনুসারে গণনা করা হয়েছে। আরও দেখুন নোবেল পুরস্কার নোবেল পুরস্কারপ্রাপ্তদের তালিকা‎ সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার শান্তিতে নোবেল পুরস্কার রসায়নে নোবেল পুরস্কার চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার পদার্থবিজ্ঞান পদার্থবিজ্ঞানের ইতিহাস তথ্যসূত্র রচনাপঞ্জি The politics of excellence, beyond the nobel prize, R. Friedman, 2002. "Nobel Century: a biographical analysis of physics laureates", in Interdisciplinary Science Reviews, by Claus D. Hillebrand, June 2002, No 2. p. 87-93. বহিঃসংযোগ "পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কারপ্রাপ্ত সকলে" - নোবেল ফাউন্ডেশনের অফিসিয়াল সাইটে নির্ঘন্ট। "নোবেল পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান" – নোবেল ফাউন্ডেশনের অফিসিয়াল হাইপারলিংককৃত সাইট। "পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার" - নোবেল ফাউন্ডেশনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট। "পদার্থবিজ্ঞানে এবং রসায়নে নোবেল পুরস্কারের মেডেল" – নোবেল ফাউন্ডেশনের অফিসিয়াল সাইট। বিষয়শ্রেণী:নোবেল বিজয়ীদের তালিকা বিষয়শ্রেণী:নোবেল বিজয়ী পদার্থবিজ্ঞানী
পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল বিজয়ীদের তালিকা
অঁতোয়ান হেনরি বেকেরেল (; ১৫ই ডিসেম্বর ১৮৫২ - ২৫শে আগস্ট ১৯০৮) একজন ফরাসি পদার্থবিদ। তিনি তেজস্ক্রিয়তা আবিষ্কার করেন। তার নামানুসারে তেজস্ক্রিয়তার একটি এককের নাম রাখা হয়েছে বেকেরেল। তিনি ১৯০২ সালে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। প্রাথমিক জীবন বেকেরেলের জন্ম হয় প্যারিসের এক ধনী পরিবারে যেখানে চার পুরুষ ধরে বিজ্ঞান চর্চা প্রচলিত ছিল।এরা হলেন পদার্থবিজ্ঞানীঃ অ্যান্টনি সিজার বেকেরেল (বেকেরেলের দাদা),আলেকজান্দ্রা এলমন্ড বেকেরেল (বেকেরেলের বাবা),জিন বেকেরেল (বেকেরেলের পুত্র)।হেনরি তার শিক্ষাজীবন শুরু করেন প্যারিসের Lycée Louis-le-Grand স্কুল থেকে।তিনি ইকোল পলিটেকনিক এ বিজ্ঞান ও École des Ponts et Chaussées এ প্রকৌশল বিদ্যায় পড়াশোনা করেন।১৮৭৪ সালে তিনি বিয়ে করেন Lucie Zoé Marie Jamin কে।তিনি তাদের প্রথম সন্তান জিনকে জন্ম দিতে গিয়ে মারা যান।১৮৯০ সালে হেনরি Louise Désirée Lorieux কে বিয়ে করেন অবদান thumb|right|বেকেরেলের সেই আলোকচিত্র প্লেট, যা ইউরেনিয়াম লবণের তেজস্ক্রিয়তায় ঘোলা হয়ে গেছে। ১৮৯২ খ্রিষ্টাব্দে বেকেরেল তার পরিবারের তৃতীয় ব্যক্তি হিসাবে ফ্রান্সের জাতীয় ন্যাচারেল হিস্ট্রি জাদুঘরে পদার্থবিদ্যার সম্মানিত আসনে অধিষ্টিত হন। ১৮৯৪ খ্রিষ্টাব্দে তিনি ফরাসি সরকারের সেতু ও জনপথ বিভাগের প্রধান প্রকৌশলীর পদ লাভ করেন। ১৮৯৬ খ্রিষ্টাব্দে বেকেরেল ইউরেনিয়ামের লবণের দ্যুতির উপর গবেষণা করার সময় ঘটনাচক্রে তেজস্ক্রিয়তা আবিষ্কার করেন। উইলহেল্ম রন্টজেনের ব্যবহারিক পরীক্ষণ সম্পন্ন করতে গিয়ে বেকেরেল পটাসিয়াম ইউরেনাইল সালফেট নামক দ্যুতিময় খনিজ পদার্থকে আলোকচিত্রের প্লেটে লেপে দেন, এবং এর উপরে কালো বর্ণের আচ্ছাদন দেন, যাতে করে উজ্জ্বল সূর্যালোকে তিনি পরীক্ষা চালাতে পারেন। কিন্তু, আসল পরীক্ষণ চালাবার আগে বেকেরেল দেখতে পান যে, তার আলোকচিত্রের প্লেটগুলো এক্সপোজ্‌ড, অর্থাৎ ব্যবহৃত হয়ে গেছে। এই ঘটনা হতে বেকেরেল তেজস্ক্রিয় বিকীরণ সংক্রান্ত বিষয়ে গবেষণা চালান। ১৯০৩ খ্রিষ্টাব্দে তিনি তেজস্ক্রিয়তা আবিষ্কারের জন্য মারি ক্যুরি ও পিয়েরে কুরির সাথে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পান। জীবনাবসান ১৯০৮ খ্রিষ্টাব্দে, মৃত্যুর পূর্বে তিনি ফরাসি বিজ্ঞান একাডেমির স্থায়ী সম্পাদক নির্বাচিত হন। ৫৫ বছর বয়সে তিনি লে ক্রয়সিক নামক স্থানে মৃত্যুবরণ করেন। তার নামানুসারে তেজস্ক্রিয়তার এস্‌আই একক বেকেরেল (Bq) এর নামকরণ করা হয়। চাঁদ ও মঙ্গল গ্রহের দুইটি খাত (Crater) এর নাম ও তার নামানুসারে রাখা হয়। তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ নোবেল পুরস্কারের ওয়েবসাইটে বেকেরেলের জীবনী বেকেরেল সম্পর্কিত নিবন্ধ বেকেরেলের সংক্ষিপ্ত জীবনী বিষয়শ্রেণী:নোবেল বিজয়ী পদার্থবিজ্ঞানী বিষয়শ্রেণী:ফরাসি পদার্থবিজ্ঞানী বিষয়শ্রেণী:১৮৫২-এ জন্ম বিষয়শ্রেণী:১৯০৮-এ মৃত্যু
হেনরি বেকেরেল
ইব্রাহিম আব্বুদ (২৬শে অক্টোবর, ১৯০০ - ৮ই সেপ্টেম্বর, ১৯৮৩) সুদানীয় জেনারেল ও রাজনীতিবিদ। গর্ডন কলেজে শিক্ষালাভের পর তিনি সেনাবাহিনীতে যোগ দেন এবং ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর হয়ে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে অংশগ্রহণ শেষে ১৯৫৪ সালে জেনারেল পদে উন্নীত হন। ১৯৫৬ সালে সুদানের স্বাধীনতার পর তাকে সুদানীয় সেনাবাহিনীর প্রধান করা হয়। ১৯৫৮ সালে তিনি সুদানের গণতান্ত্রিক সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে দেশটির প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিজেকে ঘোষণা করে সামরিক শাসনের প্রবর্তন করেন। কিন্তু রাজনৈতিক কৌশলের অভাবে তিনি ১৯৬৪ সালে পদত্যাগে বাধ্য হন। বিষয়শ্রেণী:সুদানের রাষ্ট্রপতি বিষয়শ্রেণী:১৯০০-এ জন্ম বিষয়শ্রেণী:১৯৮৩-তে মৃত্যু
ইব্রাহিম আব্বুদ
পুনর্নির্দেশ আলেক্সঁদ্র দ্যুমা
আলেক্সাণ্ডার দুমা
কলা বলতে যা বুঝায়: কলা (ফল) - কাঁচকলা (ফল) (Plantain) হল কলা পরিবারের সদস্য। কলা (শরীরবিজ্ঞান) কলা (বিষয়) - শিক্ষাসম্পর্কিত বিষয়ধারা আর্টস, যেমন চারু কলা, ফলিত কলা, ললিত কলা ইত্যাদি। কলা (নৈপুণ্য) (শিল্প) - দক্ষতা গুণ। কলা - চাঁদের ৩০ অংশের ১টি বা এক ফালি চাঁদ। কলা (কোণ পরিমাপ একক) - এক অংশের ৬০ ভাগের এক ভাগ কলা।
কলা (দ্ব্যর্থতা নিরসন)
কার্তিকেয় বা কার্তিক হিন্দু যুদ্ধদেবতা। তিনি পরম পুরুষ শিব ও আদি পরাশক্তি পার্বতীর সন্তান। কার্তিক বৈদিক দেবতা নন; তিনি পৌরাণিক দেবতা। প্রাচীন ভারতে সর্বত্র কার্তিক পূজা প্রচলিত ছিল। ভারতে ইনি এক প্রাচীন দেবতা রূপে পরিগণিত হন। অন্যান্য হিন্দু দেবদেবীর মতো কার্তিকও একাধিক নামে অভিহিত হন। যথা – কৃত্তিকাসুত, আম্বিকেয়, নমুচি, স্কন্দ, শিখিধ্বজ, অগ্নিজ, বাহুলেয়, ক্রৌঞ্চারতি, শরজ, তারকারি, শক্তিপাণি, বিশাখ, ষড়ানন, গুহ, ষান্মাতুর, কুমার, সৌরসেন, দেবসেনাপতি গৌরী সুত ইত্যাদি। ভগবান কার্তিকের স্ত্রী হলেন দেবসেনা ও বালি(বল্লী)। সুরাপদ্মনকে বধ করার পর দেবরাজ ইন্দ্র নিজ কন‍্যা দেবসেনার সঙ্গে কার্তিকের বিয়ে দেন। পরে নম্বিরাজের কন্যা বালি-র সঙ্গে কার্তিকের বিবাহ হয়। ভারতের অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় দক্ষিণ ভারতে কার্তিকের পূজা অধিক জনপ্রিয়। তামিল ও মালয়ালম ভাষায় কার্তিক মুরুগান বা ময়ূরী স্কন্দস্বামী (তামিল:முருகன், মালয়ালম:മുരുകന്‍) নামে এবং কন্নড় ও তেলুগু ভাষায় তিনি সুব্রহ্মণ্যম (কন্নড়:ಸುಬ್ರಹ್ಮಣ್ಯ, তেলুগু:సుబ్రమణ్య స్వామి‍) নামে পরিচিত। তামিল বিশ্বাস অনুযায়ী মুরুগান তামিলদেশের (তামিলনাড়ু) রক্ষাকর্তা। দক্ষিণ ভারত, সিঙ্গাপুর, শ্রীলঙ্কা, মালয়েশিয়া ও মরিশাস – যেখানে যেখানে তামিল জাতিগোষ্ঠীর প্রভাব বিদ্যমান সেখানেই মুরুগানের পূজা প্রচলিত। শ্রীলঙ্কার দক্ষিণাংশে কার্তিকেয়ের উদ্দেশ্যে উৎসর্গিত কথারাগম (সিংহলি ভাষায় "কথারাগম দেবালয়") মন্দিরে হিন্দু ও বৌদ্ধ উভয় সম্প্রদায়ের মানুষই শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি ভারতে সর্বাধিক পূজিত দেবতাদের মধ্যে অন্যতম,পরমেশ্বর শিব ও পরমেশ্বরী পার্বতীর যোগের মাধ্যমে আত্ম মিলন হয়। রতির অভিশাপের সম্মান রক্ষার্থে গর্ভে সন্তান ধারণ করেননি মা পার্বতী।তাছাড়া ঈশ্বর কখনও মনুষ্যের ন্যায় সন্তান জন্ম দেন না। অগ্নিদেব সেই উৎপন্ন হওয়া নব্য তেজময় জ্যোতিপিন্ড নিয়ে পালিয়ে যান।ফলে মা পার্বতী যোগ ধ্যান সমাপ্তি হতেই ক্রুদ্ধ হন। সেই তেজ গঙ্গা দ্বারা বাহিত হয় ও সরবনে গিয়ে এক রূপ বান শিশুর জন্ম দেয় জন্মের পর কুমার কে কৃতিকা গণ স্তন্য পান করালে তিনি কার্তিক নামে অভিহিত হন ,এরপর দেবী পার্বতী শিশু স্কন্দ কে কৈলাসে নিয়ে আসেন। পশ্চিমবঙ্গে কার্তিক পূজা বাংলায় কার্তিক সংক্রান্তির সাংবাৎসরিক কার্তিক পূজার আয়োজন করা হয়।পূর্বের তুলনায় এখন কার্তিক জনপ্রিয়তা কিছুটা কমেছে। পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার চুঁচুড়া-বাঁশবেড়িয়া কাটোয়া অঞ্চলের কার্তিক পূজা বিশেষ প্রসিদ্ধ। এছাড়া বাংলার গণিকা সমাজে কার্তিক পূজা বিশেষ জনপ্রিয়। দুর্গাপূজা সময়ও কার্তিকের পূজা করা হয়।কলকাতাতে তার মন্দির আছে। কার্তিক ঠাকুরের সাথে ছয় সংখ্যা জড়িয়ে আছে৷ সেজন্য হয়ত স্ত্রী ষষ্ঠীর সাথে তার মিল৷তিনি বাচ্চা বড় না হওয়া অব্দি তাদের বিপদ থেকে রক্ষা করেন ৷তার কৃপা পেলে পুত্রলাভ , ধনলাভ হয় ৷সেজন্য বিয়ে হয়েছে কিন্তুু এখনও সন্তান আসেনি এমন দম্পতির বাড়ির সামনে কার্তিক ঠাকুরের মূর্তি ফেলা হয় ।যা প্রজাপতি বিস্কুট সিনেমাতে ও দেখানো হয়েছে। সুঠাম গড়নের ল্যাংটো কাটোয়ার কার্তিক লড়াই খুব বিখ্যাত। কাটোয়ার কার্তিক পুজো বিখ্যাত বলেই এখানে এক পুজোর সঙ্গে অন্য পুজোর প্রতিদ্বন্দ্বিতাকে কার্তিক লড়াই বলে । কার্তিক পুজোর দিন পথে কাটোয়ায় এক বড়সড় মিছিল নামে । সব পুজো-মণ্ডপের দলবল তাদের ঠাকুর নিযে বেরোয় শোভাযাত্রায়। চলে লড়াই কার ঠাকুর আগে যাবে।এ যুদ্ধ রীতিমতো লাঠিসোটা, এমনকী তরোয়াল নিয়েও চলে। হালিশহরের'জ্যাংড়া কার্তিক' ও 'ধুমো কার্তিক' পূজা ও খুব বিখ্যাত। এভাবেই যুদ্ধ আর সন্তান উৎপাদন- দুইয়ের অনুষঙ্গেই কার্তিককে স্মরণ করে বাঙালি।তাকে নিয়ে আছে ছড়া - "কার্তিক ঠাকুর হ্যাংলা, একবার আসেন মায়ের সাথে, একবার আসেন একলা।" পাল বাড়ির ঐতিহাসিক তিন কার্তিক বর্ধমান(পশ্চিম বর্ধমান)জেলায় গৌরবাজার( পান্ডবেশ্বর থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরত্বের মধ্যে)নামে এক গ্রামে বিগত ১৬৬ বছর ধরে এই পুজো হয়ে আসছে বলে অনুমান। এই পুজোর বিশেষত্ব হল তিনটি কার্তিক- বড় কার্তিক, মেজো কার্তিক, ছোটো কার্তিক। অনেকের কাছে বিষয়টা অদ্ভুত এবং কৌতূহলের। একই দেবতার তিনটি মূর্তির উত্তর লুকিয়ে আছে ইতিহাসের পাতায়। বর্ধমান রাজাদের তত্ত্বাবধানে পাল দের জমিদারি তখন রমরমা। আশ-পাশের সব গ্রামের মধ্যে পালদের জমিদারি ছিল বিশেষ। জানা যায় আনুমানিক ১৮৫৩ সাল নাগাদ জমিদার জয়নারায়ণ পাল, শ্যাম পাল ও লক্ষ্মীনারায়ণ পাল এর কোনো সন্তান জন্ম না হওয়ায়, তারা চরম চিন্তায় ছিলেন। অনেক উপায় অবলম্বন করেও কোনও সুরাহা হয় নি। তখন এক রাত্রে স্বপ্নাদেশে জয়নারায়ণ পাল জানতে পারেন যে কার্তিক পুজো করতে হবে তাঁদের তিন ভাই কে,তবেই তাঁদের শূন্য‌ কোল আলো হবে। তাই তাঁরা তিন ভাই মিলে অভিনব ভাবে মন্দির তৈরি করে একসাথে তিনটি কার্তিক পূজা করা শুরু করেন। তারপরে আনুমানিক ১৮৫৭ সালে লক্ষ্মীনারায়ণ পালের এক পুত্র সন্তান লাভ হয়-তার নাম রাখা হয় ধ্বজাধারী পাল;এবং আর দুই ভাইয়ের একটি করে কন্যা সন্তান লাভ হয়। সেই সৌভাগ্যবসত পরম্পরা অনুযায়ী পুজো করে আসছেন বংশধরেরা এবং এই সন্তান না হওয়ার অন্ধকার এই বংশকে আর এসে ঘিরে ধরেনি। এই পুজো আজও বর্তমান। দক্ষিণ ভারত thumb|মুরুগান দক্ষিণ ভারতে তিনি খুব জনপ্রিয়।সেখানে তার অসংখ্য মন্দির আছে।তবে তামিলনাড়ুর ৬ টি মন্দির খুব পবিত্র। সেগুলি হল- ১।স্বামীমালাই মুরুগান মন্দির ২। পালানী মুরুগান মন্দির ৩।থিরুচেন্দুর মুরুগান মন্দির ৪।থিরুপ্পারামকুমারাম মুরুগান মন্দির ৫।থিরুথানি মুরুগান মন্দির ৬।পাঝামুদিরচোলাই মুরুগান মন্দির । তথ্যসূত্র পাদটীকা Muruga in Sangam literature Mailam a Muruga Temple in the Cross Roads বহিঃসংযোগ http://www.palanitemples.com/ Lord Muruga Portal Murugan Bhakti Website http://www.highgatehillmurugan.org/ Swami Sivananda's book on Lord Kartikeya; also available on PDF. Skanda worship in Katirkamam, Sri Lanka Kaumaram Murugan Info YouTube video lectures praising Lord Muruga and explaining Kandhar Anubudhi by the "YouTube Pugal Muruga Bhaktan" Murugan devotional video songs - YouTube Playlist বিষয়শ্রেণী:হিন্দু দেবদেবী
কার্তিক (দেবতা)
ঘটনাবলী ১৭৩৭ - পূর্ব ভারতের বঙ্গোপসাগরে ভয়াবহ প্রাণঘাতি ঝড় তুফানে তিন লক্ষ মানুষ প্রাণ হারায়। ১৭৬২ - ইংল্যান্ড ও স্পেনের যুদ্ধ শুরু হয়। ১৭৯৩ - জানুয়ারিতে ফরাসী সম্রাট ষোড়শ লুঁইকে শুলে চড়িয়ে হত্যা করা হয়। ১৮৪৬ - চার্লস ডিকেন্স সম্পাদিত ‘দি ডেইলি নিউজ’ প্রথম প্রকাশিত হয়। ১৮৯৯ - ওপেলের অটোমোবাইল তৈরি শুরু হয়। ১৯৩৬ - রাজা অষ্টম এডওয়ার্ড ইংল্যান্ডের সিংহাসনে আরোহণ করেন। ১৯৪৯ - চীনের প্রেসিডেন্টের পদ থেকে চিয়াং কাই শেকের পদত্যাগ করেন। ১৯৫৪ - পারমাণবিক শক্তিচালিত প্রথম মার্কিন জাহাজ নটিলাস সাগরে ভাসে। ১৯৬০ - বেগবর্ধক শক্তি আর ওজনশূণ্যতায় সৃষ্ট প্রভাব পরীক্ষা করার জন্য প্রথমবারের মতো তিন বছর বয়সী একটি বানরকে মহাকাশে প্রেরণ। ১৯৬৮ - উত্তর কোরিয়ার ৩১ কমান্ডো কর্তৃক দক্ষিণ কোরিয়ার প্রসিডেন্ট প্রাসাদে হামলা। মুখোমুখি বন্দুকযুদ্ধে একজন ছাড়া এদের সবাই নিহত। এ সময় সংঘর্ষে দক্ষিণ কোরিয়ার নিহত হয় ৩৪ জন। ১৯৭০ - ইরাকে অভ্যুত্থান চেষ্টা নস্যাৎ। ১২ জনকে হত্যা। ১৯৭২ - মনিপুর, মেঘালয় ও ত্রিপুরা ভারতের পূর্ণ রাজ্যে পরিণত হয়। ১৯৭৫ - আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের বৈঠকে শেখ মুজিবুর রহমানকে সর্বময় ক্ষমতা অর্পণ করা হয়। ১৯৭৬ - লন্ডন-বাহরাইন এবং প্যারিস-রিওর মধ্যে ফ্লাইট চলাচলের মধ্য দিয়ে কনকর্ডের বাণিজ্যিক উড্ডয়ন শুরু হয়। ১৯৯৬ - ইয়াসির আরাফাত ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। ১৯৯৭ - সৌদি আরব থেকে বিতাড়িত ৯১২ বাংলাদেশীর দেশে প্রর্তাবর্তন করে। ২০০২ - কানাডিয়ান ডলার, আমেরিকান ডলারের তুলনায় সর্বকালের সর্বনিম্ন বিনিময় মূল্য পায়। (১ কানাডিয়ান ডলার = ০.৬১৭৯ আমেরিকান ডলার) ২০০৩ - মেক্সিকোর কোলিমা রাজ্যে ৭.৬ মাত্রার ভূ-কম্পনে ২৯জন নিহত এবং আনুমানিক ১০,০০০ লোক গৃহহীন হয়ে পড়ে। ২০০৫ - বেলাইজের বেলমোপান এলাকায় সরকারের নতুন করনীতির প্রতিবাদে দাংগা ছড়িয়ে পড়ে। ২০০৮ - কালো সোমবার হিসেবে বিশ্বব্যাপী শেয়ার বাজারে প্রতিষ্ঠিত। এফটিএসই ১০০-এর সূচক একদিনে সবচেয়ে বড় পতন ঘটে। ইউরোপীয় স্টক এক্সচেঞ্জগুলো ১১ সেপ্টেম্বর, ২০০১ - এর পর সবচেয়ে খারাপ করে শেষ হয়। এশিয়ার শেয়ার মার্কেটগুলোর সূচক ১৪% কমে যায়। জন্ম ১৮৮২ - পাভেল ফ্লরেন্স ফ্লরেন্সকয়, রাশিয়ান গণিত ও ধর্মতত্ত্ববিদ। ১৮৮৫ - উমবেরত নবিলে, ইতালিয় প্রকৌশলী। ১৯১২ - কনরাড এমিল ব্লচ, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী জার্মান বংশোদ্ভূত মার্কিন প্রাণরসায়নবিদ। ১৯২৬ - স্টিভ রিভস, মার্কিন অভিনেতা। ১৯৩০ - সুচরিত চৌধুরী কথাসাহিত্যিক। ১৯৩৩ - শর্বরী রায়চৌধুরী, বিশিষ্ট ভারতীয় বাঙালি ভাস্কর।(মৃ.২১/০২/২০১২) ১৯৪১ - প্লাকিড ডোমিংগো, স্প্যানিয় মর্ম ও পথপ্রদর্শক। ১৯৫৩ - পল অ্যালেন, মার্কিন ব্যবসায়ী এবং মাইক্রোসফট -এর সহপ্রতিষ্ঠাতা। ১৯৫৬ - জিনা ডেভিস, মার্কিন চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন অভিনেত্রী ও প্রাক্তন ফ্যাশন মডেল। ১৯৫৮ - মাইকেল ওয়িনচত্ত, কানাডীয় অভিনেতা। ১৯৬৩ - হেকিম অলাজুওয়ন, নাইজেরীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন বাস্কেটবল খেলোয়াড়। ১৯৭৫ - নিকি বাট, সাবেক ইংরেজ ফুটবল খেলোয়াড় ও কোচ। ১৯৮১ - মাইকেল টেল, ব্রাজিলীয় গীতিকার ও গায়ক। ১৯৮৬ - সুশান্ত সিং রাজপুত, ভারতীয় অভিনেতা। (মৃ. ২০২০) ১৯৮৯ - হেনরিখ মখিটারয়ান, আর্মেনীয় ফুটবল খেলোয়াড়। মৃত্যু ১৫২৭ - স্প্যানিশ এক্সপ্লোরার জুয়ান ডে গ্রিজাল্ভা মৃত্যুবরণ করেন । ১৬০৯ - ফরাসি ইতিহাসবিদ ও পণ্ডিত জোসেফ জুস্টুস স্কালিগ মৃত্যুবরণ করেন। ১৭৩৩ - বার্নার্ড ম্যান্ডেভিল, অ্যাংলো-ওলন্দাজ দার্শনিক, রাজনৈতিক অর্থনীতিবিদ এবং ব্যাঙ্গ রচয়িতা। (জ. ১৬৭০) ১৮৩১ - জার্মান কবি ও লেখক লুডওয়িগ আচিম ভন আরনিম মৃত্যুবরণ করেন। ১৯০১ - টেলিফোনের উদ্ভাবক ইলিশা গ্রে মৃত্যুবরণ করেন। ১৯২৪ - রুশ বিপ্লবের মহান নেতা ও মার্কসবাদের অন্যতম রূপকার ভ্লাদিমির ইলিচ লেনিন মৃত্যুবরণ করেন। ১৯২৬ - নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ইতালিয়ান চিকিৎসক ক্যামিলো গলজি মৃত্যুবরণ করেন। ১৯৪৫ - রাসবিহারী বসু, ভারতে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের একজন বিপ্লবী নেতা এবং ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল আর্মির সংগঠক। (জ.২৫/০৫/১৮৮৬) ১৯৫০ - জর্জ অরওয়েল, ব্রিটিশ সাহিত্যিক ও রাজনৈতিক লেখক। (জ. ১৯০৩) ১৯৫৯ - সেসিল বি. ডামিল, মার্কিন চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক, সম্পাদক, চিত্রনাট্যকার ও অভিনেতা। (জ. ১৮৮১) ১৯৫৯ - ভারতের প্রখ্যাত রসায়ন বিজ্ঞানী জ্ঞানচন্দ্র ঘোষ প্রয়াত হন।(জ.০৪/০৯/১৮৯৪) ১৯৬৫ - ইরানের প্রধানমন্ত্রী হাসান আলী মনসুর তেহরানে অজ্ঞাতনামা গুপ্তঘাতক কর্তৃক নিহত হন। ১৯৭০ - রাশিয়ান দার্শনিক ও লেখক আলেকজান্ডার হেরযেন মৃত্যুবরণ করেন। ১৯৭৮ - ইংরেজ পণ্ডিত ও লেখক ফেরদা উতলেয় মৃত্যুবরণ করেন। ১৯৯১ - কৃষকনেতা ও লেখক আবদুল্লাহ রসুল মৃত্যুবরণ করেন। ২০০৬ - কসোভোর প্রথম রাষ্ট্রপতি, প্রথম সারির কসোভো-আলবেনীয় রাজনীতিবীদ, বুদ্ধিজীবী ও লেখক ইব্রাহিম রুগোভা মৃত্যুবরণ করেন। ২০১৩ - ইংরেজ পরিচালক, প্রযোজক ও চিত্রনাট্যকার মাইকেল ওয়িনার মৃত্যুবরণ করেন। ছুটি ও অন্যান্য তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ চায়না রেডিও ইন্টারন্যাশনাল: এই দিনে বিবিসি: এই দিনে দি নিউইয়র্ক টাইমস: এই দিনে বিষয়শ্রেণী:গ্রেগরীয় পঞ্জিকার দিন বিষয়শ্রেণী:জানুয়ারি বিষয়শ্রেণী:অসম্পূর্ণ দিনতারিখ
২১ জানুয়ারি
ঘটনাবলী ১৬৪১ - মালাবির মালাক্কা ছেড়ে দিতে ডাচদের কাছে পর্তুগিজরা আত্মসমর্পণ করে। ১৬৪৮ - মুয়েন্সতারে স্পেন ও নেদারল্যান্ডসের মধ্যে শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ১৬৪৯ - কমনওলেথ অব ইংল্যান্ড প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৬৪৯ - ইংল্যান্ডের রাজা প্রথম চার্লসের শিরোচ্ছেদ করা হয়। ১৮৪০ - চীনের সম্রাট ব্রিটেনের সাথে সব ধরনের বাণিজ্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন। ১৮৮২ - করেছিলেন ফ্রাংক্‌লিন ডেলানো রুজ্‌ভেল্ট, তিনি ছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৩২তম রাষ্ট্রপতি। ১৮৮৯ - ভিয়েনার যুবরাজ রুডলফ ও তার ১৮ বছরের প্রেয়সী আত্মহত্যা করে। ১৮৯৯ - করেছিলেন ম্যাক্স টেইলের, তিনি ছিলেন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী দক্ষিণ আফ্রিকান ভাইরাসবিদ। ১৯০২ - চীন ও কোরিয়ার স্বাধীনতার জন্য জাপানের সাথে ব্রিটেনের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ১৯০৩ - আজকের দিনে লর্ড কার্জনের প্রচেষ্টায় মেটকাফ হলে ক্যালকাটা পাবলিক লাইব্রেরি ও ইম্পিরিয়াল লাইব্রেরিকে সংযুক্ত করে জনসাধারণের ব্যবহারের জন্য খুলে দেওয়া হয়। সংযুক্ত লাইব্রেরিটি ইম্পিরিয়াল লাইব্রেরি নামেই পরিচিত হয়।এটিই বর্তমানের জাতীয় গ্রন্থাগার। ১৯৩৩ - জার্মানীর চ্যান্সেলর হিসেবে এডলফ হিটলারের আরোহণ। ১৯৬৪ - র‌্যাঞ্জার প্রোগ্রামের অংশ হিসেবে র‌্যাঞ্জার ৬ উৎক্ষেপণ। ১৯৬৪ - দ: ভিয়েতনামের জেনারেল নগুয়েন খানের সাইগনে সেনা অভ্যুনত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করেন। ১৯৭২ - সাহিত্যিক ও চলচ্চিত্রকার জহির রায়হান নিরুদ্দেশ হন। ১৯৭২ - কমনওয়েলথ থেকে পাকিস্তানের নাম প্রত্যাহার। ১৯৭২ - ন্যাপ, কমিউনিস্ট পার্টি ও ছাত্র ইউনিয়নের সম্মিলিত গেরিলা বাহিনীর অস্ত্র সমর্পণ করে। ১৯৮২ - ৪০০ লাইন দীর্ঘ ১ম কম্পিউটার ভাইরাস কোড এল্ক ক্লোনার লিখেন রিচার্ড স্ক্রেন্টা। এটি এ্যাপল কম্পিউটারের বুট প্রোগ্রাম ধ্বংস করে দেয়। ১৯৮৯ - আফগানিস্তানের কাবুলে আমেরিকার দূতাবাস বন্ধের ঘোষণা। ১৯৯০ - চেকোশ্লোভাকিয়ার পার্লামেন্টে ৪ দশক পর কমিউনিস্ট পার্টি তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারায়। ১৯৯৪ - পিটার লেকো সর্বকনিষ্ঠ গ্রাণ্ডমাস্টারের মর্যাদা পান। ২০০০ - ভারতের কেরলে প্রথম করোনা আক্রান্ত (মেডিক্যাল স্টুডেন্ট) এক রোগী শনাক্ত করা হয়। আইভোরী কোস্টের উপকূলে আটলান্টিক মহাসাগরে কেনিয়া এয়ারওয়েজের ফ্লাইট ৪৩১ বিধ্বস্ত হয়ে ১৬৯জনের মৃত্যুবরণ। জন্ম ১৮৮২ - ফ্রাংক্‌লিন ডেলানো রুজ্‌ভেল্ট, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৩২তম রাষ্ট্রপতি। ১৯১৭ - প্রখ্যাত বাঙালি কবি ঔপন্যাসিক ও সাংবাদিক নরেন্দ্রনাথ মিত্র (মৃত্যু ১৪/০৯/১৯৭৫) ১৯৩০ - জিন হ্যাকম্যান, মার্কিন অভিনেতা ও ঔপন্যাসিক। ১৯৩১ - অস্ট্রেলিয়ান লেখক শার্লি হাযযারদ জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৩৭ - ইংরেজ অভিনেত্রী ভানেসসা রেডগ্রাভে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৪৯ - নোবেল পুরস্কার বিজয়ী আমেরিকান চিকিৎসক ও জীববিজ্ঞানী পিটার আগ্রি জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬২ - দ্বিতীয় আবদুল্লাহ, জর্ডানের চতুর্থ বাদশাহ। ১৯৮০ - উইল্মার ভালদারামা, ভেনিজুয়েলীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন অভিনেতা। ১৯৮৯ - স্প্যানিশ ফুটবল খেলোয়াড় টমাস মেজিয়াস জন্মগ্রহণ করেন। মৃত্যু ১৭৮৮ - রোমে ব্রিটিশ রাজত্বের তরুণ উত্তরাধিকারী চার্লস এডওয়ার্ড স্টুয়ার্ন মত্যুবরণ করেন। ১৯২৮ - নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ডেনিশ চিকিৎসক জোহানেস ফিবিগের মৃত্যুবরণ করেন। ১৯৪৮ - মহাত্মা গান্ধী, ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনের সবচেয়ে গুরূত্বপূর্ণ নেতা।(জ.০২/১০/১৮৬৯) ১৯৬০ - উপেন্দ্রনাথ গঙ্গোপাধ্যায় বাঙালি সাহিত্যিক ও সম্পাদক।(জ.১২/১০/১৮৮১) ১৯৬৩ - ফরাসি সুরকার ফ্রান্সিস পউলেঞ্চ মৃত্যুবরণ করেন। ১৯৬৮ - প্রখ্যাত ভারতীয় কবি প্রাবন্ধিক ও নাট্যকার পণ্ডিত মাখনলাল চতুর্বেদী। (জন্ম ০৪/০৪/১৮৮৯) ১৯৬৯ - নোবেল পুরস্কার বিজয়ী বেলজিয়ান ভিক্ষু ডমিনিক পিরে মৃত্যুবরণ করেন। ১৯৭২ - জহির রায়হান, প্রখ্যাত বাঙালি চলচ্চিত্র পরিচালক, ঔপন্যাসিক, এবং গল্পকার। ১৯৭৫ - শিশু সাহিত্যিক মোহাম্মদ নাসির আলী মৃত্যুবরণ করেন মৃত্যুবরণ করেন। ১৯৯১ - নোবেল পুরস্কার বিজয়ী আমেরিকান পদার্থবিদ জন বারডিন মৃত্যুবরণ করেন। ২০১৩ - বেলজিয়ান চিত্রশিল্পী রজার রাভীল মৃত্যুবরণ করেন। ২০১৪ - কানাডিয়ান অভিনেতা ক্যাম্পবেল লেন মৃত্যুবরণ করেন। ছুটি ও অন্যান্য বিশ্ব কুষ্ঠ দিবস ৷ শহীদ দিবস (ভারত) বহিঃসংযোগ বিবিসি: এই দিনে দি নিউইয়র্ক টাইমস: এই দিনে বিষয়শ্রেণী:গ্রেগরীয় পঞ্জিকার দিন বিষয়শ্রেণী:জানুয়ারি বিষয়শ্রেণী:অসম্পূর্ণ দিনতারিখ
৩০ জানুয়ারি
গ্রেগর ইয়োহান মেন্ডেল () (জুলাই ২০, ১৮২২ - জানুয়ারি ৬, ১৮৮৪) একজন অস্ট্রিয়ার ধর্মযাজক ছিলেন। তিনি তার গির্জার বাগানে মটরশুঁটি উদ্ভিদ নিয়ে দীর্ঘদিন গবেষণা করে, বংশগতির দুইটি গুরুত্বপূর্ণ সূত্র প্রকাশ করেন, যা এখনো যথাযথ আছে। তাকে বংশগতিবিদ্যার জনক বলা হয়। জীবনী মেন্ডেল হাইনৎসেনডর্ফ বাই ওড্রাউ, সাইলেসিয়া, অস্টীয় সাম্রাজ্যের (বর্তমান হিনচিৎসে, চেক প্রজাতন্ত্র) এক জার্মান গোষ্ঠীভুক্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন, এবং দু’দিন পর ব্যাপটাইজড হন। তার পিতা-মাতা ছিলেন আন্টন ও রোজিনে মেন্ডেল এবং তার দুটি বোন ছিল। তারা মেন্ডেল পরিবারের মালিকানাধীন ১৩০ বছরের পুরনো খামারে বসবাস করতেন এবং সেখানেই কাজ করতেন। শৈশবে মেন্ডেল উদ্যানপালক হিসেবে কাজ করেন এবং মৌমাছিপালনবিদ্যা শেখেন, অতঃপর ওলোমোউৎস শহরে অবস্থিত ফিলোসফিকাল ইন্সটিটিউটে ১৮৪০-১৮৪৩ সাল পর্যন্ত অধ্যয়ন করেন। তার পদার্থবিজ্ঞান শিক্ষক ফ্রিডরিখ ফ্রাঞ্জের পরামর্শ অনুযায়ী ১৮৪৩ সালে তিনি ব্রুনের সেন্ট টমাস মঠে যোগদান করেন। সন্ন্যাসী জীবনের প্রারম্ভে তিনি তার নামের পূর্বে গ্রেগর অংশটি যুক্ত করেন। ১৮৫১ সালে তিনি ভিয়েনা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে যান এবং ১৮৫৩ সালে মূলতঃ পদার্থবিজ্ঞানের শিক্ষক হিসেবে মঠে প্রত্যাবর্তন করেন। গ্রেগর মেন্ডেল, যিনি কিনা পরবর্তীতে জিনতত্ত্বের জনক হিসেবে পরিচিত হবেন, তার শিক্ষক ও সহকর্মীদের দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে মঠের বাগানে গবেষণা শুরু করেন। ১৮৫৬ থেকে ১৮৬৩ পর্যন্ত মেন্ডেল প্রায় ২৯,০০০ মটরশুঁটি (অর্থাৎ, Pisum sativum) চাষ ও পরীক্ষা করেন। এই পর্যবেক্ষণগুলো থেকে তিনি লক্ষ্য করেন প্রতি চারটিতে একটি গাছ বিশুদ্ধ প্রচ্ছন্ন অ্যালিল বিশিষ্ট, দুটি সংকর এবং একটি বিশুদ্ধ প্রকট অ্যালিল বিশিষ্ট। তার এই গবেষণা দুটি সাধারণীকরণের সূচনা ঘটায়- পৃথকীকরণ সূত্র এবং স্বাধীনভাবে সঞ্চারণ সূত্র, যা কিনা পরবর্তীতে মেন্ডেলের বংশগতির সূত্র নামে পরিচিত হয়। মেন্ডেল উদ্ভিদ সংকরণের পরীক্ষা নামক তার নিবন্ধটি ১৮৬৫ সালে মোরাভিয়ায় ন্যাচারাল হিস্ট্রি সোসাইটি অফ ব্রুনেতে দু'বার উপস্থপন করেন। তার গবেষণা নিবন্ধটি ছিল পরিসংখ্যান ভিত্তিক। দুর্ভাগ্যজনকভাবে তার সমসাময়িক বিজ্ঞানীরা তার কাজের গুরুত্ব অনুধাবন করতে ব্যর্থ হন এবং পরবর্তী পয়ত্রিশ বছরে তা কেবলমাত্র তিনবার উদ্ধৃত হয়। (এখানে লক্ষ্যণীয় যে, মানুষের ক্রমবিকাশ বইয়ের লেখক জ্যাকব ব্রুনোস্কির মতে আরেক যুগান্তকারী বিজ্ঞানী ডারউইন অনবহিত ছিলেন।) সে সময়ে তার গবেষণা প্রবন্ধটি ব্যাপকভাবে সমালোচিত হলেও বর্তমানে তা জিনতত্ত্বের ভিত্তিমূলক রচনায় পরিণত হয়েছে। মটরশুঁটি নিয়ে গবেষণা সমাপ্ত করার পর মেন্ডেল প্রাণীদের নিয়ে কাজ শুরু করেন এবং এ ক্ষেত্রে তিনি মৌমাছি বেছে নেন। তিনি এর একটি হাইব্রিড জাত উদ্ভাবন করেন (অত্যন্ত হিংস্র হবার কারণে যা পরবর্তীতে ধ্বংস করে ফেলা হয়), কিন্তু তিনি এদের বংশগতির কোন বিন্যাস খুঁজে পেতে ব্যর্থ হন, কারণ রাণী মৌমাছির প্রজনন নিয়ন্ত্রণ করা ছিল দুঃসাধ্য একটি কাজ। তিনি কিছু নতুন উদ্ভিদ প্রজাতির বর্ণনা প্রদান করেন, রীতি অনুযায়ী যাদের প্রজাতিক নামের শেষে তার নাম যুক্ত আছে। ১৮৬৮ সালে মঠপ্রধান হিসেবে পদোন্নতি প্রাপ্তির পর প্রশাসনিক কাজের চাপে তার গবেষণা কাজ প্রায় বন্ধ হয়ে যায়, বিশেষ করে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের ওপর কর আরোপের বিষয়ে সরকারের সাথে তার মতানৈক্যের পর থেকে। প্রথম প্রথম মেন্ডেলের কাজ স্বীকৃতি পায়নি এবং তার মৃত্যুর পূর্বে তা সর্বগ্রহণযোগ্যও হয়নি। তখন মানুষজন ভাবতো ডারউইনের প্যানজেনেসিসই বংশগতির জন্যে দায়ী। মেন্ডেল ৬ জানুয়ারি,১৮৮৪ তে ক্রনিক নেফ্রাইটিসে ভুগে মারা যান। চেক সংগীতজ্ঞ লিও জানাচেক তার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় অর্গ্যান বাজিয়েছিলেন। তার মৃত্যুর পর করসংক্রান্ত বিতর্কের অবসান করতে তার সকল নথিপত্র পুড়িয়ে ফেলা হয়। মেন্ডেলের কাজ পুনরুদ্ধার thumb|প্রকট ও প্রচ্ছন্ন ফিনোটাইপ (১) পিতা-মাতা প্রজন্ম (২) F1 প্রজন্ম (3) F2 প্রজন্ম বিংশ শতাব্দীর পূর্বে মেন্ডেলের কাজের সঠিক মূল্যায়ন হয়নি। ১৯০০ সালে হুগো দ্যা ভ্রিস, কার্ল করেন্স ও এরিক ভন চেমার্ক মেন্ডেলের সূত্র পুনরাবিষ্কার করেন। দ্রুত মেন্ডেলের ফলাফলের প্রতিলিপি তৈরি ও জিনগত সম্পর্ক হিসেব করা হয়। যদিও তত্ত্বটি বহু ক্ষেত্রেই তখনো প্রয়োগ করা সম্ভব ছিল না ,তবু উদ্ভিদবিজ্ঞানীরা তত্ত্বটি লুফে নিলেন, কারণ এটি বংশগতির জিনগত ব্যাখ্যা প্রদান করে, যা পূর্বের ফিনোটাপিক তত্ত্বে অনুপস্থিত ছিল। এই পরবর্তী তত্ত্বটির সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য অনুসারী ছিল কার্ল পিয়ারসন ও ডব্লু.এফ.আর. ওয়েল্ডনের জীবনপরিসংখ্যানবাদী দল, যা কিনা ফিনোটাইপিক বৈচিত্রের পরিসংখ্যানগত পর্যবেক্ষণের ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছিল। এই দলটির কঠোরতম সমালোচক ছিলেন উইলিয়াম বেটসন, যিনি প্রারম্ভিক পর্যায়ে মেন্ডেলের তত্ত্বের সফলতা নিয়ে সম্ভবতঃ সর্বাধিক পরিমাণ লেখালেখি করেছেন (জীনতত্ত্ব এবং এ সংক্রান্ত অনেক পরিভাষাই তার তৈরি করা)। জীবনপরিসংখ্যানবাদী ও মেন্ডেলবাদীদের এই দ্বন্দ্ব বিংশ শতাব্দীর প্রথম দুই শতক ধরে চলে, যখন জীবনপরিসংখ্যানবাদী গাণিতিক ও পরিসাংখ্যিক কড়াকড়ির দাবি করছিলেন আর মেন্ডেলবাদীরা জীববিজ্ঞানের গভীরতর উপলব্ধির দাবি করেন। শেষ পর্যন্ত এ দুটি পদ্ধতিই একত্রিত হয়ে বিবর্তন জীববিজ্ঞানের আধুনিক সংশ্লেষের জন্ম হয়, যা ১৯১৮ সালে বিশেষত আর.এ.ফিশার কর্তৃক তৈরি হয়। মেন্ডেলের পরীক্ষার ফলাফল পরবর্তীকালে বহু বিতর্কের জন্ম দেয়। ফিশার F2 অর্থাৎ দ্বিতীয় প্রজন্মের ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখতে পান তা বরাবর ৩ অনুপাত ১ হওয়া অযুক্তিযুক্ত। অল্প সংখ্যক বিজ্ঞানীই মেন্ডেলের বিরুদ্ধে বৈজ্ঞানিক অসততার অভিযোগ করা হয়নি - তার পরীক্ষাগুলোর পুনরাবৃত্তি করে দেখা যায় তা তার অনুমিতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ - ফলাফলগুলো অনেকের কাছেই ঘোলাটে মনে হয়, যদিও বলা হয়ে থাকে এটি নিশ্চিতকরণ পক্ষপাতের উদাহরণ। হতে পারে তিনি তার প্রারম্ভিক পর্যায়ে স্বল্প সংখ্যক নমুনা নিয়ে করা পরীক্ষাতে প্রায় ৩ অনুপাত ১ অনুপাতটি লক্ষ্য করেছিলেন এবং পরে এমনভাবে তথ্য সংগ্রহ করেছিলেন যেন তা একটি সঠিক পূর্ন সাংখ্যিক অনুপাত প্রদান করে। কখনো এমনো বলা হয় তিনি তার পরীক্ষাগুলোর ফলাফল সম্পাদনা করেছিলেন এবং তার বাছাই করা সাতটি বৈশিষ্ট্য সাতটি ভিন্ন ক্রমজোড়ে থাকার ব্যাপারটিও ছিল অস্বাভাবিক। প্রকৃতপক্ষে যে সব জিন নিয়ে মেন্ডেল গবেষণা চালিয়েছিলেন সেগুলো চারটি লিংকেজ গ্রুপে ছিলো এবং কেবল একটি জিন-জোড়া (সম্ভাব্য ২১ টি হতে) স্বাধীন সঞ্চারণ থেকে বিচ্যুত হতে পারত, মেন্ডেলের গবেষণায় ঐ জিনটি ছিলো না। গ্যালারি তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ Mendel's Paper in English Mendel Museum of Genetics Biography, bibliography and access to digital sources in the Virtual Laboratory of the Max Planck Institute for the History of Science 1913 Catholic Encyclopedia entry, "Mendel, Mendelism" Online Mendelian Inheritence in Man Augustinian Abbey of St. Thomas at Brno A photographic tour of St. Thomas' Abbey, Brno, Czech Republic Johann Gregor Mendel: Why his discoveries were ignored for 35 (72) years This has the basics of Mendel and is more appropriate in style for a GCSE student |PLACE OF BIRTH= Heinzendorf, Silesia |DATE OF DEATH= |PLACE OF DEATH= Brno, Moravia }} বিষয়শ্রেণী:অস্ট্রিয়ার ধর্মযাজক বিষয়শ্রেণী:১৮২২-এ জন্ম বিষয়শ্রেণী:১৮৮৪-এ মৃত্যু
গ্রেগর ইয়োহান মেন্ডেল
লিলিয়ান থুরাম একজন ফরাসি ফুটবল তারকা। ১৯৯৮ সালে ফ্রান্সের বিশ্বকাপজয়ী দলে তিনি অমূল্য ভূমিকা পালন করেন। প্রাথমিক জীবন ক্লাব ক্যারিয়ার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:ফরাসি ফুটবলার বিষয়শ্রেণী:১৯৭২-এ জন্ম বিষয়শ্রেণী:ফ্রান্সের আন্তর্জাতিক ফুটবলার বিষয়শ্রেণী:উয়েফা ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপ বিজয়ী খেলোয়াড় বিষয়শ্রেণী:ফুটবল ক্লাব বার্সেলোনার খেলোয়াড় বিষয়শ্রেণী:লা লিগার খেলোয়াড় বিষয়শ্রেণী:পারমা কালচো ১৯১৩-এর খেলোয়াড় বিষয়শ্রেণী:সেরিয়ে আ-এর খেলোয়াড় বিষয়শ্রেণী:লীগ ১-এর খেলোয়াড় বিষয়শ্রেণী:মোনাকো ফুটবল ক্লাবের খেলোয়াড়
লিলিয়ান থুরাম
পঙ্গপাল হলো Acrididae পরিবারে ছোট শিংয়ের বিশেষ প্রজাতি যাদের জীবন চক্রে দল বা ঝাঁক বাধার পর্যায় থাকে। এই পতঙ্গগুলো সাধারণত একাই থাকে কিন্তু বিশেষ অবস্থায় তারা একত্রে জড়ো হয়। তখন তাদের আচরণ ও অভ্যাস পরিবর্তিত হয়ে সঙ্গলিপ্সু হয়ে পড়ে। পঙ্গপাল এবং ঘাস ফড়িংয়ের মধ্যে কোন পার্থক্যগত শ্রেণীভাগ নেই। বিশেষ অবস্থায় তাদের প্রজাতিরা একত্র হওয়ার যে প্রবণতা দেখায় সেটাই মূল পার্থক্য। একা থাকা অবস্থায় এই ঘাস ফড়িংগুলো অনপকারী, তারা সংখ্যায় থাকে কম এবং কৃষির জন্য বিরাট কোন আর্থিক ক্ষতি করে না। তবে অনাবৃষ্টির পর দ্রুত ফসলের বর্ধন হলে এদের মস্তিষ্কে থাকা serotonin (সেরোটোনিন) তাদের মধ্যে আচরণগত পরিবর্তনের সূত্রপাত করে। ফলে তারা প্রচুর পরিমানে ও দ্রুত জন্মদান শুরু করে। তখন তারা একত্রে থাকে, যখন তাদের সংখ্যা বেশি হয় তারা যাযাবর হয়ে পড়ে। এতে থাকে পাখাবিহীন ছোট পঙ্গপাল যেটা পরে পাখা জন্মে দলে যোগ দেয়। এই পাখাবিহীন এবং পাখনাসহ পঙ্গপালের দল একসাথে চলাচল করে এবং দ্রুত ফসলের মাঠের ক্ষতি করে। পূর্নবয়স্ক পঙ্গপাল শক্তিশালী উড্ডুক্কু তারা অনেক দূর পর্যন্ত উড়তে পারে আর পথে যেখানেই থামে সেখান থেকে ফসল খেয়ে শক্তি অর্জন করে। পঙ্গপালের এই মরক তৈরি করার ইতিহাস বহু পুরনো। পুরনো মিশরীয়রা তাদের কবরে এদের একেছিল। ইলিয়ড, বাইবেল এবং কোরান ইত্যাদি গ্রন্থে এর উল্লেখ আছে। পঙ্গপালের দল ফসল ধ্বংস করে দুর্ভিক্ষের সৃষ্টি করেছে যার ফলে মানুষ প্রচরণশীল হয়েছে। আরো সাম্প্রতিক সময়ে, কৃষিক্ষেত্রে নীতি পরিবর্তনের ফলে যেখানে এই দল উৎপন্ন হতে পারে তা বের করে শুরুতেই নিয়ন্ত্রণ করার ব্যবস্থা করা যায়। পুরনো নিয়মের মধ্যে রয়েছে বাতাসে বা মাটিতে কীটনাশক ব্যবহার। কিন্তু অন্য ব্যবস্থা যেমন জীববিজ্ঞান ব্যবস্থায় নিয়ন্ত্রণ করে ভাল ফল পাওয়া গেছে। দল বানানোর প্রবণতা বিংশ শতাব্দিতে কমে গেছে কিন্তু আধুনিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও পঙ্গপাল অনুকূল অবস্থায় যে কোন সময় দল গড়তে পারে যার ফলে দুর্ভিক্ষের সম্ভবনা রয়েছে। পঙ্গপাল বড় প্রাণী এবং সহজেই গবেষণা বা জীব বিদ্যায় পরীক্ষা করার কাজে শ্রেণীকক্ষে ব্যবহৃত হতে পারে। এদের খাওয়াও যায়; ইতিহাসে তাই দেখা যায়। কিছু কিছু দেশে এদের খাদ্য হিসেবে অত্যন্ত উপাদেয় বিবেচনা করা হয়। ইংরেজি "locust" বা পঙ্গপাল শব্দটি এসেছে Vulgar Latin শব্দ locusta (লোকাস্টা) থেকে, যার অর্থ লবস্টার (lobster) বা লোকাস্ট । right|thumb|220px|মরুভূমির পঙ্গপাল তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ ভিসুয়াল নিউরন অব দ্য লোকাস্ট, রি চ্যানেলের ভিডিও এফএও লোকাস্ট ওয়াচ এফএও এমপ্রেস সাহেল রিসোর্সে ডেজার্ট লোকাস্ট মেটারোলজিক্যাল মনিটরিং ইউটিউবে পঙ্গপালের ভিডিও ইউএসএইডের পরিপূরক পরিবেশগত মূল্যায়ন: এরিটরিয়ান পঙ্গপাল নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি ইউএসএইড-এর পরিপূরক পরিবেশগত মূল্যায়ন: পাকিস্তানের পঙ্গপাল নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি (আগস্ট ১৯৯৩) When The Skies Turned To Black, The Locust Plague of 1875 বিষয়শ্রেণী:পঙ্গপাল বিষয়শ্রেণী:জৈবিক বিপত্তি বিষয়শ্রেণী:খাদ্য হিসাবে পতঙ্গ বিষয়শ্রেণী:সংস্কৃতিতে পতঙ্গ বিষয়শ্রেণী:পতঙ্গ প্রতিপালন বিষয়শ্রেণী:পতঙ্গের সাধারণ নাম
পঙ্গপাল
ডেন্টন (Denton) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের একটি নগর। ড্যালাস থেকে প্রায় ৪০ মাইল উত্তরে অবস্থিত। ডেন্টনে দুইটি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে - ইঊনিভার্সিটি অফ নর্থ টেক্সাস এবং টেক্সাস উইমেন্স ইঊনিভার্সিটি। শহরটি রক্‌ সঙ্গীত ও ইন্ডি (indie) সঙ্গীতের জন্যেও বিখ্যাত। ইতিহাস ডেন্টন কাউন্টি প্রতিষ্ঠার পরপরই ডেন্টন নগরের গোড়াপত্তন হয়। ১৮০০-এর দশকের মাঝামাঝিতে কেন্টাকির উইলিয়াম এস পিটার্স টেক্সাস কংগ্রেস থেকে ভূমি অধিকার লাভ করে পিটার্স কলোনি নাম দিয়ে এই স্থানে বসতি স্থাপন করেন। ১৮৪৩ সালে কাউন্টির দক্ষিণাংশে প্রথম বসতি শুরুর পর ১৮৪৬ সালে টেক্সাস আইন প্রণয়ন সংস্থা ডেন্টন কাউন্টি গঠনের জন্য ভোট দেয়। কাউন্টি ও শহর দুই'ই ১৮৪১ সালে খুন হওয়া ধর্ম প্রচারক ও আইনজীবী জন বি. ডেন্টনের নামানুসারে রাখা হয়। তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:ডেন্টন, টেক্সাস বিষয়শ্রেণী:টেক্সাসের নগর
ডেন্টন, টেক্সাস
৬২৫-এর বর্গমূল হল ২৫। গণিতে, বর্গমূল হল সেই সংখ্যা যাকে ঐ একই সংখ্যা দিয়ে গুণ করলে প্রথমোক্ত সংখ্যাটি পাওয়া যায়, অর্থাৎ কোন সংখ্যা -এর বর্গমূল বলতে এমন কোনও সংখ্যাকে বোঝায়, যেন হয়। উদাহরণস্বরূপ বলা যেতে পারে ৯-এর বর্গমূল হচ্ছে ৩। অর্থাৎ, হলে এর বর্গমূল । উল্টোভাবে বলা যায়, ৩-এর বর্গ হচ্ছে ৯। কোন সংখ্যার বর্গমূল বোঝাতে ঐ সংখ্যাটির পূর্বে ‘√’ চিহ্নটি বসানো হয়। যেমন: , , ইত্যাদি। চিত্র: বর্গমূলের গাণিতিক রূপ। বিবরণ বর্গ ও বর্গমূল বর্গ একটি আয়ত, যার বাহুগুলাে পরস্পর সমান। বর্গের বাহুর দৈর্ঘ্য ‘ক’ একক হলে বর্গক্ষেত্রের ক্ষেত্রফল হবে (ক × ক) বর্গ একক বা ক বর্গ একক। বিপরীতভাবে, বর্গক্ষেত্রের ক্ষেত্রফল ক বর্গ একক হলে, এর প্রতিটি বাহুর দৈর্ঘ্য হবে ‘ক’ একক। যদি ৯টি মার্বেলকে বর্গাকারে সাজানাে হয় তবে সমান দূরত্বে প্রতিটি সারিতে ৩টি করে ৩টি সারিতে মার্বেল সাজানাে হবে এবং মােট মার্বেলের সংখ্যা ৩ × ৩ = ৩২ = ৯। এখানে, প্রত্যেক সারিতে মার্বেলের সংখ্যা এবং সারির সংখ্যা সমান। তাই, চিত্রটি বর্গাকৃতির হয়েছে। ফলে ৩ এর বর্গ ৯ এবং ৯ এর বর্গমূল ৩। কোনাে সংখ্যাকে সেই সংখ্যা দ্বারা গুণ করলে যে গুণফল পাওয়া যায় তা ঐ সংখ্যার বর্গ এবং সংখ্যাটি গুণফলের বর্গমূল। যেমন: ৪ = ২ × ২ = ২ ২ = ৪ (২ এর বর্গ ৪) ৪ এর বর্গমূল ২। পূর্ণবর্গ সংখ্যা নিচের সারণিটি লক্ষ করি:– ১, ৪, ৯, ১৬, ২৫ সংখ্যাগুলাের বৈশিষ্ট্য হলাে যে, এগুলােকে অন্য কোন পূর্ণসংখ্যার বর্গ হিসেবে প্রকাশ করা যায়। ১, ৪, ৯, ১৬, ২৫ সংখ্যাগুলাে পূর্ণ বর্গসংখ্যা। পূর্ণবর্গ সংখ্যার বর্গমূল একটি স্বাভাবিক সংখ্যা। যেমন: ২১ এর বর্গ ২১২ বা ২১×২১ বা ৪৪১ একটি পূর্ণবর্গ সংখ্যা এবং ৪৪১ এর বর্গমূল ২১ একটি স্বাভাবিক সংখ্যা। '''সাধারণভাবে একটি স্বাভাবিক সংখ্যা কে যদি অন্য একটি স্বাভাবিক সংখ্যা এর বর্গ () আকারে প্রকাশ করা যায় তবে বর্গসংখ্যা। সংখ্যাগুলােকে পূর্ণবর্গসংখ্যা বলা হয়। বর্গসংখ্যার ধর্ম নিচের সারণিতে ১ থেকে ২০ সংখ্যার বর্গসংখ্যা দেয়া হয়েছে । খালি ঘরগুলাে পূরণ কর । সংখ্যা বর্গসংখ্যা সংখ্যা বর্গসংখ্যা সংখ্যা বর্গসংখ্যা সংখ্যা বর্গসংখ্যা ১ ১ ৩৬ ১১ ১২১ ১৬ ২৫৬ ৭ ১৭ ২৮৯ ১৩ ১৬৯ ১৮ ৩২৪ 8 ১৪ ১৯৬ ৩৬১ ১৫ ২০ ৬ ৩ ৬৪ ১০ সারণিভুক্ত বর্গসংখ্যাগুলাের এককের ঘরের অঙ্কগুলাে ভালােভাবে পর্যবেক্ষণ করি । লক্ষ করি যে , এ সংখ্যাগুলাের একক স্থানীয় অঙ্ক ০ , ১,৪,৫,৬ বা ৯। কোনাে বর্গসংখ্যার একক স্থানে ২ , ৩ , ৭ , বা ৮ অঙ্কটি নেই । কাজ ১। কোনাে সংখ্যার একক স্থানীয় অংক ০ , ১ , ৪ , ৫ , ৬ , ৯ হলেই কি সংখ্যাটি বর্গসংখ্যা হবে ? ২। নিচের সংখ্যাগুলাের কোনগুলাে পূর্ণবর্গ সংখ্যা নির্ণয় কর । ২০৬২ , ১০৫৭ , ২৩৪৫৩ , ৩৩৩৩৩ , ১০৬৮ ৩। পাঁচটি সংখ্যা লেখ যার একক স্থানের অঙ্ক দেখেই তা বর্গসংখ্যা নয় বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় । গণিত ত এবার সারণি থেকে একক স্থানে ১ রয়েছে এমন বর্গসংখ্যা নিই । বর্গসংখ্যা সংখ্যা ১ কোন সংখ্যার একক স্থানীয় অঙ্ক ১ বা ১ ৯ হলে, এর বর্গসংখ্যার একক স্থানীয় ৮১ অঙ্ক [ ? ] হবে ১২১ ১১ ৩৬১ একইভাবে বর্গসংখ্যা সংখ্যা কোন সংখ্যার একক স্থানীয় অঙ্ক ৩ বা ৭ হলে এর বর্গসংখ্যার একক ৯ U ৪৯ ১৬৯ ১৩ বর্গসংখ্যা সংখ্যা ১৬ 8 ৩৬ কোন সংখ্যার একক স্থানীয় অঙ্ক ৪ বা ৬ হলে , এর বর্গসংখ্যার একক স্থানে [ ? ] থাকবে। ১৯৬ ১৪ ২৫৬ ১৬ যে সংখ্যার সর্ব ডানদিকের অঙ্ক অর্থাৎ একক স্থানীয় অঙ্ক ২ বা ৩ বা ৭ বা ৮ তা পূর্ণবর্গ নয়। যে সংখ্যার শেষে বিজোড় সংখ্যক শূন্য থাকে, ঐ সংখ্যা পূর্ণবর্গ নয়। একক স্থানীয় অঙ্ক ১ বা ৪ বা ৫ বা ৬ বা ৯ হলে, ঐ সংখ্যা পূর্ণবর্গ হতে পারে। যেমন: ৮১, ৬৪, ২৫, ৩৬, ৪৯ ইত্যাদি বর্গসংখ্যা। আবার সংখ্যার ডানদিকে জোড়সংখ্যক শূন্য থাকলে ঐ সংখ্যা পূর্ণবর্গ হতে পারে। যেমন: ১০০, ৪৯০০ ইত্যাদি বর্গসংখ্যা। সারণি থেকে বর্গসংখ্যার একক স্থানে ৪ রয়েছে এরূপ সংখ্যার জন্য নিয়ম তৈরি কর। নিচের সংখ্যাগুলাের বর্গসংখ্যার একক স্থানীয় অঙ্কটি কত হবে? ১২৭৩, ১৪২৬, ১৩৬৪৫, ৯৮৭৬৪৭৪, ৯৯৫৮০ ০২০৫ ২০২০ 8 গণিত নিচে বর্গমূলসহ কয়েকটি পূর্ণ বর্গসংখ্যার তালিকা দেওয়া হল: বর্গসংখ্যা | বর্গমূল বর্গসংখ্যা বর্গমূল | বর্গসংখ্যা | বর্গমূল ২২৫ ১৫ ১ ১ ৬৪ b 8 ২ ৮১ S ২৫৬ ১০০ ১০ ২৮৯ ১৭ ১৬ 8 ১২১ ১১ ৩২৪ ১৮ ২৫ ১৪৪ ১২ ১৯ ১৬৯ ১৩ 800 ২০ ৪৯ ৭ ১৯৬ ১৪ ৪৪১ বর্গমূলের চিহ্ন বর্গমূল প্রকাশের জন্য / চিহ্ন ব্যবহৃত হয় । ২৫ এর বর্গমূল বােঝাতে লেখা হয় ২৫ । আমরা জানি , ৫x ৫ = ২৫ , কাজেই ২৫ এর বর্গমূল ৫ । কাজ : কয়েকটি বর্গসংখ্যার বর্গমূলের তালিকা তৈরি কর । মৌলিক গুণনীয়কের সাহায্যে বর্গমূল নির্ণয় ১৬ কে মৌলিক গুণনীয়কে বিশ্লেষণ করে পাই ১৬ = ২ x ২ x ২ x ২ = ( ২ x ২ ) x ( ২ x ২ ) প্রতি জোড়া থেকে একটি করে গুণনীয়ক নিয়ে পাই ২ x ২ = ৪ ... ১৬ এর বর্গমূল = ১৬ = ৪ আবার , ৩৬ কে মৌলিক গুণনীয়কে বিশ্লেষণ করে পাই , ৩৬ = ২ x ২ x ৩ x ৩ = ( ২ x ২ ) x ( ৩ X ৩ ) প্রতি জোড়া থেকে একটি করে গুণনীয়ক নিয়ে পাই ২ x ৩ = ৬ ৩৬ এর বর্গমূল লক্ষ করি : মৌলিক গুণনীয়কের সাহায্যে কোনাে পূর্ণ বর্গসংখ্যার বর্গমূল নির্ণয় করার সময় – প্রথমে প্রদত্ত সংখ্যাটিকে মৌলিক গুণনীয়কে বিশ্লেষণ করতে হবে। প্রতি জোড়া একই গুণনীয়ককে একসাথে পাশাপাশি লিখতে হবে। প্রতি জোড়া এক জাতীয় গুণনীয়কের পরিবর্তে একটি গুণনীয়ক নিয়ে লিখতে হবে । প্রাপ্ত গুণনীয়কগুলাের ধারাবাহিক গুণফল হবে নির্ণেয় বর্গমূল। এ গণিত উদাহরণ ১। ৩১৩৬ এর বর্গমূল নির্ণয় কর । সমাধান : ২ ] ৩১৩৬ ১৫৬৮ ২ ২ ৭৮৪ ২৩৯২ ২ ] ১৯৬ ২ ৯৮ ৭ ৪৯ 9 এখানে , ৩১৩৬ = ২ x ২ x ২ x ২ x ২ x ২ X ৭ X ৭ = ( ২ x ২ ) x ( ২ x ২ ) x ( ২ x ২ ) x ( ৭ x ৭ ) ৩১৩৬ এর বর্গমূল = ৩১৩৬ = ২x২x২x৭ = ৫৬ কাজ : গুণনীয়কের সাহায্যে ১০২৪ এবং ১৮৪৯ এর বর্গমূল নির্ণয় কর । ১.৩ ভাগের সাহায্যে বর্গমূল নির্ণয় একটি উদাহরণ দিয়ে ভাগের সাহায্যে বর্গমূল নির্ণয়ের পদ্ধতি দেখানাে হলাে : উদাহরণ ২। ভাগের সাহায্যে ২৩০৪ এর বর্গমূল নির্ণয় কর : সমাধান ( ১ ) ২৩০৪ সংখ্যাটি লিখি । ২৩ ০৪ ২৩ ০৪ ( ২ ) ডানদিক থেকে দুইটি করে অঙ্ক নিয়ে জোড়া করি । প্রত্যেক জোড়ার উপর রেখাচিহ্ন দিই । ২৩ ০৪ ( ৩ ) ভাগের সময় যেমন খাড়া দাগ দেওয়া হয় , ডানপাশে দ্রুপ একটি খাড়া দাগ দিই : ( ৪ ) প্রথম জোড়াটি ২৩। এর পূর্ববর্তী বর্গসংখ্যাটি ১৬ , যার বর্গমূল ১৬ বা ৪ ; খাড়া দাগের ডানপাশে ৪ লিখি । এখন ২৩ এর ঠিক নিচে ১৬ লিখি ; ২৩ ০৪ | ৪ ১৬ 8 ( ৫ ) এখন ২৩ থেকে ১৬ বিয়ােগ করি । ২৩ ০৪ ১৬ ৭ ২৩ ০৪ | ৪ ( ৬ ) বিয়ােগফল ৭ এর ডানে পরবর্তী জোড়া ০৪ বসাই । ৭০৪ এর বামদিকে খাড়া দাগ ( ভাগের চিহ্ন ) দিই । ৭ ০৪ ২০২০ ৬ মূলদ ও অমূলদ সংখ্যা ( ৭ ) ভাগফলের ঘরের সংখ্যা ৪ এর দ্বিগুণ ৪ x ২ বা ৮ নিচের খাড়া দাগের বামপাশে বসাই । ৮ এবং খাড়া দাগের মধ্যে একটি অঙ্ক বসানাের মতাে স্থান রাখি : ২৩ ০৪ ] ৪ b ৭ ০৪ ( ৮ ) এখন একটি এক অঙ্কের সংখ্যা খুঁজে বের করি যাকে ৮ এর ডানপাশে বসিয়ে প্রাপ্ত সংখ্যাকে ঐ সংখ্যাটি দ্বারা গুণ করে ৭০৪ এর সমান বা অনুর্ধ্ব ৭০৪ পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে ৮ হবে। ৮ সংখ্যাটি ভাগফলেও ৪ এর ডানপাশে বসাই। ২৩ ০৪ | ৪৮ ১৬ ৮৮ ৭ ০৪ ৭ ০৪ o ( ৯ ) ভাগফলের স্থানে পাওয়া গেল ৪৮। এটিই নির্ণেয় বর্গমূল। . : . v২৩০৪ = ৪৮ লক্ষণীয় যে ভাগের সাহায্যে বর্গমূল নির্ণয় করার সময় সংখ্যার ডান দিক থেকে জোড় করতে গিয়ে শেষ অঙ্কের জোড় না থাকলে একে জোড়া ছাড়াই গণ্য করতে হবে। উদাহরণ ৩। ভাগের সাহায্যে ৩১৬৮৪ এর বর্গমূল নির্ণয় কর । সমাধান : ৩ ১৬ ৮৪ | ১৭৮ > ২৭ ২১৬ ১৮৯ ২৭৮৪ ২৭৮৪ ৩৪৮ o : ৩১৬৮৪ এর বর্গমূল = ৩১৬৮৪ = ১৭৮ নির্ণেয় বর্গমূল ১৭৮ । কাজ : ১। ভাগের সাহায্যে ১৪৪৪ এবং ১০৪০৪ এর বর্গমূল নির্ণয় কর । ২। ৫২৯ , ৩৯২৫ , ৫০৪১ এবং ৪৪৮৯ সংখ্যাগুলাের বর্গমূল সংখ্যার একক স্থানীয় অঙ্ক নির্ণয় কর । বর্গসংখ্যা ও বর্গমূল সম্বন্ধে উল্লেখ্য বিষয় কোনাে সংখ্যার একক স্থানীয় অঙ্ক থেকে শুরু করে বামদিকে এক অঙ্ক পরপর যতটি ফোঁটা দেওয়া যায় , এর বর্গমূলের সংখ্যাটি তত অঙ্কবিশিষ্ট । গণিত ৭ লক্ষণীয় যে , Vos = ৯ ( এক অঙ্কবিশিষ্ট , এখানে ফোটার সংখ্যা ১ কারণ , ৮১ ) ম / ১০০ = ১০ ( দুই অঙ্কবিশিষ্ট , এখানে ফোটার সংখ্যা ২ কারণ , ১০৪ ) 0 0 0 ৪৭০৮৯ = ২১৭ ( তিন অঙ্কবিশিষ্ট , এখানে ফোটার সংখ্যা ৩ কারণ , ৪৭০৮৯ ) কাজ : ৩১৩৬ , ১২৩৪৩২১ এবং ৫২৯০০ সংখ্যাগুলাের বর্গমূল কত অঙ্কবিশিষ্ট তা নির্ণয় কর । বর্গ ও বর্গমূল সংশ্লিষ্ট সমস্যা উদাহরণ ৪। ৮৬৫৫ থেকে কোন ক্ষুদ্রতম সংখ্যা বিয়ােগ করলে বিয়ােগফল একটি পূর্ণ বর্গসংখ্যা হবে ? সমাধান : ৮৬ ৫৫ ১৮৩ ৫ ৪৯ এখানে , ৮৬৫৫ এর বর্গমূল ভাগের সাহায্যে নির্ণয় করতে গিয়ে ৬ অবশিষ্ট থাকে । সুতরাং প্রদত্ত সংখ্যা থেকে ৬ বাদ দিলে প্রাপ্ত সংখ্যাটি পূর্ণ বর্গসংখ্যা হবে । নির্ণেয় ক্ষুদ্রতম সংখ্যা ৬ উদাহরণ ৫। ৬৫১২০১ এর সাথে কোন ক্ষুদ্রতম সংখ্যা যােগ করলে যােগফল একটি পূর্ণ বর্গসংখ্যা হবে ? সমাধান : ৬৫১২ ০১ ] ৮০৬ ৬৪ ১৬০৬ ১১২ ০১ ১৫ ৬৫ যেহেতু সংখ্যাটির বর্গমূল নির্ণয় করার সময় ভাগশেষ ১৫৬৫ আছে । কাজেই প্রদত্ত সংখ্যাটি পূর্ণ বর্গসংখ্যা নয় । ৬৫১২০১ এর সাথে কোনাে ক্ষুদ্রতম সংখ্যা যােগ করলে যােগফল পূর্ণবর্গ হবে এবং তখন এর বর্গমূল হবে ৮০৬ +১ = ৮০৭ ৮০৭ এর বর্গ = ৮০৭ x ৮০৭ = ৬৫১২৪৯ নির্ণেয় ক্ষুদ্রতম সংখ্যাটি = ৬৫১২৪৯ – ৬৫১২০১ = 8b ২০২০ তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:গণিত
বর্গমূল
ঘটনাবলী ০৫৭২ - তৎকালীন দুই পরাশক্তি ইরান ও রোম সাম্রাজ্যের মধ্যে তীব্র যুদ্ধ শুরু হয়। ১৭৯১ - প্রেসিডেন্ট জর্জ ওয়াশিংটনের নামানুসারে আমেরিকার রাজধানীর নামকরণ হয় ওয়াশিংটন ডিসি। ১৮৫০ - ৩১তম রাজ্য হিসেবে ক্যালিফোর্নিয়া যুক্তরাষ্ট্রের অন্তর্ভুক্ত হয়। ১৮৮১ - আরব পাশার নেতৃত্বে মিশরের জাতীয়তাবাদীরা সংগঠিত হয়। ১৯১৫ - বিপ্লবী বাঘা যতীন [যতীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়] ও তার সহযোদ্ধারা ‘কোপতিপোদার যুদ্ধে’ ব্রিটিশবিরোধী সংঘর্ষে লিপ্ত হন। ১৯২০ - আলিগড়ের অ্যাংলো ওরিয়েন্টাল কলেজ আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত হয়। ১৯২৩ - প্রজাতান্ত্রিক তুরস্কের প্রতিষ্ঠাতা মোস্তফা কামাল আতাতুর্ক রাজনৈতিক দল ‘রিপাবলিকান পিপল্স পার্টি’ প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৩৯ - বার্মার (বর্তমান মিয়ানমার) জাতীয় বীর ইউ উত্তামা ঔপনিবেশিক ব্রিটিশ শাসকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে জেলের ভেতর অনশন ধর্মঘটে মৃত্যুবরণ করেন। ১৯৪৫ - চীন দখলকারী জাপানী বাহিনী আত্মসমর্পন করার পর একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে। ১৯৪৮ - পৃথক রাষ্ট্র হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী উত্তর কোরিয়া স্বাধীনতা ঘোষণা করে। ১৯৬০ - ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে "সিন্ধু নদ জল চুক্তি" স্বাক্ষর। ১৯৬৯ – কানাডাতে অফিসিয়াল ল্যাংগুয়েজ অ্যাক্ট বাস্তবায়িত হয়। যার মাধ্যমে ফরাসী ভাষা ইংরেজি ভাষার সমান মর্যাদা পায়। ১৯৭০ – একটি ব্রিটিশ বিমান পপুলার ফ্রন্ট ফর দ্য লিবারেশন অব প্যালেষ্টাইন দ্বারা হাইজ্যাক করা হয়। বিমানটি জর্ডানের ডাওজন ফিল্ডে নেয়া হয়। ১৯৯১ – তাজিকিস্তান সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ করে। ১৯৯৩ – পিএলও বা প্যালেষ্টাইন লিবারেশন অরগানাইজেশন আনুষ্ঠানিক ভাবে ইসরায়েলকে স্বীকৃতি প্রদান করে। ২০০৫ - মিশরের প্রথম বহুদলীয় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হোসনি মোবারককে বেসরকারিভাবে বিজয়ী ঘোষণা। জন্ম ০২১৪ - আউরেলিয়ান, তিনি ছিলেন রোমান সম্রাট। ০৩৮৪ - হ্নোরিউস, তিনি ছিলেন রোমান সম্রাট। ১৭৫৪ - উইলিয়াম ব্লিঘ, তিনি ছিলেন ইংরেজ এডমিরাল, রাজনীতিবিদ ও নিউ সাউথ ওয়েল্স-এর ৪র্থ গভর্নর। ১৮২৪ – লিও তলস্তয়, বিখ্যাত রুশ লেখক। (মৃ.২০/১১/১৯১০) ১৮২৮ - ল্যেভ তল্স্তোয়, তিনি ছিলেন রাশিয়ান লেখক ও নাট্যকার। ১৮৫০ - ‘ভারতেন্দু’ হরিশ্চন্দ্র, তিনি ছিলেন আধুনিক হিন্দি সাহিত্যের জনক কবি ও নাট্যকার। ১৮৭২ - সরলা দেবী চৌধুরানী, বিশিষ্ট বাঙালি বুদ্ধিজীবী ও ভারতের এলাহাবাদে প্রথম মহিলা সংগঠন 'ভারত স্ত্রী মহামণ্ডল'এর প্রতিষ্ঠাত্রী।(মৃ.১৮/০৮/১৯৪৫) ১৮৭৮ - দ্বিজেন্দ্রনাথ মৈত্র প্রখ্যাত শল্যচিকিৎসক ও সমাজসেবী। (মৃ.২৬/১১/১৯৫০) ১৮৮২ - অনুরূপা দেবী, বাঙালি ঔপন্যাসিক।(মৃ.১৯/০৪/১৯৫৮) ১৮৯৯ - ভিক্টোরিয়া ফেড্রিকা দ্য মারিশলার ই দ্য বোরবন, স্প্যানিশ রাজা ১ম জুয়ান কার্লোসের নাতনী। ১৯০০ - জেমস হিল্টন, একজন ইংরেজ উপন্যাসিক। ১৯২০ - সন্তোষকুমার ঘোষ, প্রখ্যাত বাঙালি সাহিত্যিক এবং সাংবাদিক। (মৃ.২৬/০২/১৯৮৫) ১৯২১ - পলান সরকার, একুশে পদক বিজয়ী বাংলাদেশি সমাজকর্মী। (মৃ. ২০১৯) ১৯২২ - হ্যান্স গেয়র্গ ডেমেল্ট, তিনি ছিলেন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী জার্মান বংশোদ্ভূত মার্কিন পদার্থবিজ্ঞানী। ১৯২৩ - ড্যানিয়েল কার্লটন গ্যাজডুসেক, তিনি নোবেল পুরস্কার বিজয়ী হাঙ্গেরিয়ান বংশোদ্ভূত মার্কিন চিকিৎসক। ১৯২৪ - সিলভিয়া মাইলস, মার্কিন অভিনেত্রী। (মৃ. ২০১৯) ১৯৩৪ - নিকোলাস লিভারপুল, তিনি ছিলেন ডোমিনিকান আইনজীবী, রাজনীতিবিদ ও ৬ষ্ঠ প্রেসিডেন্ট। ১৯৪১ - ডেনিস রিচি, মার্কিন প্রোগ্রামার ও কম্পিটার বিজ্ঞানী, সি প্রোগ্রামিং ভাষার জনক। ১৯৪৯ - সুসিলো বামবাং ইয়ুধনো, তিনি ইন্দোনেশীয় জেনারেল, রাজনীতিবিদ ও ৬ষ্ঠ প্রেসিডেন্ট। ১৯৬০ - হিউ গ্রান্ট, তিনি ইংরেজ অভিনেতা ও প্রযোজক। ১৯৬৬ - আডাম সান্ডলের, তিনি আমেরিকান অভিনেতা, চিত্রনাট্যকার ও প্রযোজক। ১৯৬৭ - অক্ষয় কুমার, ভারতীয় অভিনেতা। ১৯৮৩ - ভিটোলো, স্প্যানিশ ফুটবলার। ১৯৭৬ - এমা ডি কোনাস, তিনি ফরাসি অভিনেত্রী। ১৯৮০ - মিশেল উইলিয়ামস, আমেরিকান অভিনেত্রী। ১৯৮৩ - ভিটোলো, তিনি স্প্যানিশ ফুটবলার। ১৯৮৭ - জোসোয়া হের্ডম্যান, ইংলিশ অভিনেতা। ১৯৮৮ - ম্যানুয়েলা আরবেলায়েজ, কলাম্বিয়ান মডেল। ১৯৮৮ - দানিয়ালো ডি'আম্ব্রোসিও, ইতালীয় ফুটবলার। ১৯৯১ - অস্কার দোস সান্তোস জুনিয়র, তিনি ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার। ১৯৯৯ - অঞ্জন সাহা- তন্ময়, বাংলাদেশি কারাতে খেলোয়াড়। মৃত্যু ১০৮৭ - প্রথম উইলিয়াম (ইংল্যান্ড), ইংরেজ রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা। ১৪৩৮ - এডওয়ার্ড, তিনি ছিলেন পর্তুগালের রাজা। ১৪৮৭ - চ্যেংগুয়া, তিনি ছিলেন চীনের সম্রাট। ১৫৬৯ - পিটার ব্রুয়েগেল এল্ডার, তিনি ছিলেন ডাচ চিত্রশিল্পী। ১৮৯১ - জুলস গ্রেভয়, তিনি ছিলেন ফরাসি রাজনীতিবিদ ও ৪র্থ প্রেসিডেন্ট। ১৮৯৮ - স্টেফানে মালার্মের, তিনি ছিলেন ফরাসি কবি ও সমালোচক। ১৯০১ - অঁরি দ্য ত্যুল্যুজ্‌-লোত্রেক, উনিশ শতকের প্রখ্যাত ফরাসি চিত্রকর। ১৯৩৯ - ইউ উত্তামা, তিনি ছিলেন বার্মার (বর্তমান মিয়ানমার) জাতীয় বীর। ১৯৪১ - হান্স স্পেম্যান, তিনি ছিলেন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী জার্মান করে প্রতিদিন। ১৯৬৩ -রাধা কুমুদ মুখাপাধ্যায় , ভারতীয় বাঙালি ইতিহাসবিদ, জাতীয়তাবাদী ব্যক্তিত্ব।(জ.২৫/০১/১৮৮৪) ১৯৬৮ - অশোক বড়ুয়া, বাঙালি লেখক। ১৯৭৬ - মাও সে তুং, চীনের কমিউনিস্ট পার্টির নেতা। (জ.২৬/১২/১৮৯৩) ১৯৮৫ - পল জন ফ্লোরি, তিনি ছিলেন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী আমেরিকান রসায়নবিদ। ১৯৮৯ - রাধারাণী দেবী, বাঙালি মহিলা কবি। (জ.৩০/১১/১৯০৩) ১৯৯৭ - বার্গেস মেরেডিথ, তিনি ছিলেন আমেরিকান অভিনেতা, গায়ক, পরিচালক ও প্রযোজক। ২০০১ - আহমেদ শাহ মাসুদ, তিনি ছিলেন আফগানিস্তানের অস্থায়ী সরকারের প্রধান বোরহান উদ্দীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী। ২০১২ - ভার্গিজ কুরিয়েন , ভারতে দুগ্ধ উৎপাদনে শ্বেত বিপ্লবের জনক। (জ.২৬/১১/১৯২১) ২০১৪ - ফিরোজা বেগম, বাংলাদেশের প্রথিতযশা নজরুলসঙ্গীত শিল্পী ও সমগ্র ভারতীয় উপমহাদেশে তিনি নজরুল সঙ্গীতের জন্য বিখ্যাত হয়ে আছেন। ছুটি ও অন্যান্য বহিঃসংযোগ বিষয়শ্রেণী:গ্রেগরীয় পঞ্জিকার দিন বিষয়শ্রেণী:সেপ্টেম্বর
৯ সেপ্টেম্বর
ঘটনাবলী ১৬৭২ –স্যার আইজাক নিউটন লন্ডনের রয়্যাল সোসাইটিতে তার আলোক বিদ্যার ওপর গবেষণাপত্রটি উপস্থাপন করেন। ১৯০৫ - রুশ-জাপান যুদ্ধ শুরু। ১৯৪১ - ৩০ বছর প্রবাসে থাকার পর হো চি মিন গোপনে ভিয়েতনামে আসেন। ১৯৭২ - বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয় অস্ট্রিয়া এবং সামোয়া। ২০০৫ - গুগল ম্যাপের যাত্রা শুরু জন্ম ১৮২৮ - জুল ভার্ন, ফরাসি লেখক।(মৃ.১৯০৫) ১৮৮৩ - জোসেফ শুম্পটার, প্রভাবশালী অস্ট্রীয় অর্থনীতিবিদ এবং রাষ্ট্রবিজ্ঞানী। ১৮৮৬ - উস্তাদ ফৈয়াজ খান ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতশিল্পী ।(মৃ.৫/১১/১৯৫০) ১৮৯৭ - জাকির হুসেইন (রাজনীতিবিদ)  অর্থনীতি বিদ ও ভারতের তৃতীয় রাষ্ট্রপতি ।(মৃ.০৩/০৫/১৯৬৯) ১৯২৫ - জ্যাক লেমন, মার্কিন অভিনেতা ও সঙ্গীতজ্ঞ। (মৃ. ২০০১) ১৯৩১ - জেমস ডিন, মার্কিন অভিনেতা। (১৯৫৫) ১৯৩৪ - আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ, বাংলাদেশের প্রখ্যাত কবি। ১৯৪১ - জগজিৎ সিং, ভারতীয় উপমহাদেশের অন্যতম গজল গায়ক।(মৃ.২০১১) ১৯৬৩ – মোহাম্মদ আজহারউদ্দীন, ভারতীয় ক্রিকেটার এবং রাজনীতিবিদ ১৯৭৬ - খালেদ মাসুদ, বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক উইকেটকিপার ও অধিনায়ক। ১৯৮৭ – জাভি গার্সিয়া, স্প্যানীয় ফুটবলার ১৯৯৫ – জশুয়া কিমিচ, জার্মান ফুটবলার মৃত্যু ১৮৭২ - ভারতের ভাইসরয় আর্ল আফ মেয়ো আততায়ীর হাতে নিহত। ১৯১২ - গিরিশচন্দ্র ঘোষ ভারতের প্রখ্যাত বাঙালি নট ও নাট্যকার ও নাট্য পরিচালক । (জ.২৮/০২/১৮৪৪) ১৯৫৭ - জন ভন নিউম্যান, একজন হাঙ্গেরীয় বংশোদ্ভুত মার্কিন গণিতবিদ।(জ.১৯০৩) ১৯৬০ - জন ল্যাংশ অস্টিন, ইংরেজ দার্শনিক(ভাষা)। ১৯৮৮ - সন্তোষ দত্ত, প্রখ্যাত বাঙালি অভিনেতা। (জ.০২/১২/১৯২৫) ১৯৯৫ - ' অগ্নিকন্যা' কল্পনা দত্ত ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের এক বিপ্লবী ও মাস্টারদা সূর্য সেনের সহযোগী।(মৃ.২৭/০৭/১৯১৯) ছুটি ও অন্যান্য বৌদ্ধ ধর্ম: নির্ভানা দিবস। বহিঃসংযোগ বিষয়শ্রেণী:গ্রেগরীয় পঞ্জিকার দিন বিষয়শ্রেণী:ফেব্রুয়ারি
৮ ফেব্রুয়ারি
ঘটনাবলী ১১২৩ - সম্রাট ফ্রেডরিক জেরুজালেম দখল করেন। ১৫৩৬ - ফ্রান্স ও তুরস্ক বাণিজ্য চুক্তি করে। ১৭৮৭ - অস্ট্রিয়ার সম্রাট শিশুশ্রম নিষিদ্ধ করেন। ১৮৩৯ - ডেট্রয়েট বোট ক্লাব গঠিত হয়। ১৮৬১ - প্রথম ইতালিয় পার্লামেন্ট অধিবেশন শুরু হয়। ১৮৮৫ - মার্ক টোয়েনের বিখ্যাত বই এডভেঞ্চার অব হাকলবেরি ফিন প্রকাশিত হয়। ১৯০০ - বোয়ের যুদ্ধে পারডারবাগে ৪ শ’ লোকসহ পিয়েত ক্রোনিয়ের বৃটিশদের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। ১৯১৫ - ডুবোজাহাজের মাধ্যমে জার্মানির ব্রিটেন অবরোধ শুরু হয়। ১৯২১ - ব্রিটিশ সৈন্যরা ডাকলিন দখল করে। ১৯২৬ - বিখ্যাত রীফ নেতা আবদুল করিম খাত্তাবি ফ্রান্স এবং স্পেনীয় যৌথ বাহিনীর হাতে পরাজিত হন। ১৯৩০ - প্লুটো আবিষ্কৃত হয়। ১৯৩৪ - আলজেরিয়ার বিখ্যাত যোদ্ধা আমির আবদুল কাদেরর হাতে আগ্রাসী ফরাসি সেনারা শোচনীয়ভাবে পর্যুদস্ত হয়। ১৯৪২ - জাপানি সৈন্যরা বালিতে অবতরণ করে। ১৯৫১ - নেপাল সাংবিধানিক রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা। ১৯৬৫ - গাম্বিয়ার স্বাধীনতা লাভ করে। ১৯৬৯ - রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শামসুজ্জোহা পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর হাতে নিহত হন। ১৯৭৩ - বাংলাদেশকে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয় আফগানিস্তান। ১৯৭৬ - বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামকে আনুষ্ঠানিক ভাবে বাংলাদেশের নাগিরকত্বে ভূষিত করা করা হয়। ১৯৭৯ - বাংলাদেশের জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে বিএনপি সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। ১৯৮৮ - রাশিয়ার ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির পলিটব্যুরো থেকে বরিস ইয়েলৎসিনকে বরখাস্ত করে। ১৯৮৯ - আফগানিস্তানে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে। ১৯৯১ - কেনিয়ায় গ্রিস দূতাবাসে লুকিয়ে থাকার ৩ দিন পর তুরস্কের কুর্দি নেতা আবদুল্লাহ ওজালানকে গ্রেফতার করা হয়। ১৯৯৩ - হাইতিতে ফেরি ডুবে দু’হাজার লোকের মৃত্যু ঘটে। ১৯৯৭ - বাংলাদেশে প্রথম বেসরকারি বিমান সংস্থার যাত্রীবহন শুরু হয়। জন্ম ১৩৭৪ - সেইন্ট জাডুইগার, পোল্যান্ডের রানি। ১৪৮৬ - শ্রীকৃষ্ণ চৈতন্য মহাপ্রভু,বৈষ্ণব সন্ন্যসী ও ধর্মগুরু, ভারতে গৌড়ীয় বৈষ্ণবধর্মের প্রবর্তক।(মৃ.১৫৩৩) ১৭৪৫ - আলেসান্দ্রো ভোল্টা, ইতালীয় পদার্থবিজ্ঞানী। ১৮৩০ - হ্যালহেড, বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের স্মরণীয় ব্যক্তিত্ব। ১৮৩৬ - প্রখ্যাত ভারতীয় বাঙালি যোগসাধক, দার্শনিক ও ধর্মগুরু শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেব।(মৃ.১৮৮৬) ১৮৩৮ - আর্নস্ট মাখ, অস্ট্রীয় পদার্থবিদ, দার্শনিক ও মনোবিদ। ১৮৯৪ - রফি আহমেদ কিদোয়াই, ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম বিপ্লবী রাজনীতিক ও সমাজতান্ত্রিক ব্যক্তি। (মৃ.১৯৫৪) ১৮৯৯ -  বিংশ শতাব্দীর অন্যতম প্রধান আধুনিক বাংলা কবি জীবনানন্দ দাশ জন্মগ্রহণ করেন। ১৯২৭ - মহম্মদ খৈয়াম হাশমি, ভারতের প্রখ্যাত সঙ্গীত পরিচালক ও সুরকার। (মৃ. ২০১৯) ১৯৩৭ - আনিসুজ্জামান, বাংলাদেশি শিক্ষাবিদ ও জাতীয় অধ্যাপক। (মৃ. ২০২০) ১৯৫২ - আনিসুজ্জামান, বাংলাদেশী শিক্ষাবিদ ও লেখক। ১৯৮২ - গায়ত্রী মহন্ত, ভারতের অসম রাজ্যের চলচ্চিত্র অভিনেত্রী। মৃত্যু ১২৯৪ - মোঙ্গল সম্রাট কুবলাই খানের মৃত্যু হয়। ১৫৪৬ - প্রোটেস্ট্যান্ট ধর্মের সংস্কারক জার্মান ধর্মতাত্ত্বিক মার্টিন লুথারের মৃত্যু হয়। ১৫৬৪ - মাইকেলেঞ্জেলো, ইতালীয় ভাস্কর, চিত্রকর, স্থপতি এবং কবি। (জ.১৪৭৫) ১৮৫১ - কার্ল গুস্তাফ ইয়াকপ ইয়াকবি, জার্মান গণিতবিদ। ১৯৪৯ - নিথেতো আলকালা-থামোরা, স্পেনের প্রধানমন্ত্রী। ১৯৬৯ - মোহাম্মদ শামসুজ্জোহা, বাঙালি শিক্ষাবিদ এবং অধ্যাপক। ১৯৭৪ - মুক্তিসংগ্রামী, চারণকবি ও সাংবাদিক বিজয়লাল চট্টোপাধ্যায় প্রয়াত হন।(জ.১৮৯৮) ১৯৭৭ - বাংলা সিনেমার নেতৃস্থানীয় অভিনেত্রী কাবেরি বসু। (জ.১৯৩৮) ছুটি ও অন্যান্য বহিঃসংযোগ বিষয়শ্রেণী:গ্রেগরীয় পঞ্জিকার দিন বিষয়শ্রেণী:ফেব্রুয়ারি
১৮ ফেব্রুয়ারি
ঘটনাবলী ১০৬৬ - ওয়েস্টমিনিস্টার অ্যাবি চালু হয়। ১৫২২ - ডেনমাকের্র রাজা দ্বিতীয় ক্রিস্টিয়ানের বিরুদ্ধে সুইডেনের জনগণের গণঅভ্যুত্থান শুরু হয়। ১৫৬৮ - সম্রাট আকবরের কাছে রানা উদয় সিংয়ের আত্মসমর্পণ। ১৭০৮ - নিউইয়র্কে ক্রীতদাসদের বিদ্রোহে ১১ জন নিহত। ১৭২৮ - লন্ডনে জর্জ এফ হ্যান্ডেলের অপেরা প্রদর্শনী হয়। ১৮১৩ - তৎকালীন ইউরোপের দুই বড় শক্তি প্রুশিয়া ও রাশিয়ার মধ্যে রাজনৈতিক এবং সামরিক জোট গঠিত হয়। ১৮২০ - চতুর্থ জর্জ ইংল্যান্ডের রাজা হিসেবে অভিষিক্ত হন। ১৮২৭ - আমেরিকায় প্রথম বাণিজ্যিক রেলপথ চালু হয়। ১৮৭৭ - তুরস্ক ও সার্বিয়ার মধ্যে শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর। ১৮৮৩ - ভারতে প্রথম টেলিগ্রাফ চালু হয়। ১৯১৯ - স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আফগানিস্তানের অভ্যুদয়। ১৯২২ - মিশর স্বাধীনতা লাভ করে। ১৯২৪ - মার্কিন বাহিনীর হুন্ডুরাসে অবতরণ। ১৯২৮ - চন্দ্রশেখর ভেঙ্কট রামন কলকাতায় রামন এফেক্ট আবিষ্কার করেন। ১৯৪৮ - ব্রিটিশ সৈন্যদের শেষ দল ভারত ত্যাগ করে। ১৯৫১ - জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে কাশ্মীর প্রসঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়। ১৯৬৮ - শ্রীমা ভারতে আন্তর্জাতিক শহর অরোভিলের উদ্বোধন করেন। ১৯৭৪ - বাংলাদেশে ১ম আদমশুমারীর কাজ সম্পন্ন। ১৯৭৯ - ইরানের ইসলামী বিপ্লবের রূপকার মরহুম ইমাম খোমেনী ধর্মীয় শহর কোমে ফিরে আসেন। ১৯৮২ - ঢাকার জাতীয় সংসদ ভবনের উদ্বোধন হয়। ১৯৮৪ - স্বৈরশাসনবিরোধী আন্দোলনে পুলিশের ট্রাকের তলায় পিষ্ট হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সেলিম ও দেলোয়ার শহীদ হন। ১৯৮৮ - ইরাকের আগ্রাসী সাদ্দামের সেনারা ইরানের মুজাহিদদের হাতে বিভিন্ন রণাঙ্গনে উপর্যুপরি পরাজয়ে দিশেহারা হয়ে রাজধানী তেহরানসহ ইরানের বিভিন্ন শহরের আবাসিক এলাকায় চতুর্থ পর্যায়ে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে। ১৯৯১ - তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট সিনিয়র জর্জ বুশ ইরাকের বিরুদ্ধে ৪০ দিনের যুদ্ধের পর যুদ্ধ-বিরতি ঘোষণা করেন। ২০১৩ - দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ফাঁসির রায় প্রদান করে আন্তর্জাতিক আপরাধ ট্রাইবুনাল। জন্ম ১২৬১ - নরওয়ের রাণী মার্গারেট। ১৮৪৪ - বিখ্যাত নাট্যব্যক্তিত্ব গিরিশচন্দ্র ঘোষ(মৃ.১৯১২) ১৯৩১ - এ বি এম মূসা, প্রখ‍্যাত সাংবাদিক। ১৯৩৬ - সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়, রম্যরচনার জন্য খ্যাত জনপ্রিয় বাঙালি ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার ও প্রাবন্ধিক। ১৯৫০ - আজম খান, জনপ্রিয় বাংলাদেশী গায়ক। মৃত্যু ১৩২৬ - অস্ট্রিয়ার ডিউক প্রথম লিওপল্ড। ১৭১২ - প্রথম বাহাদুর শাহ। ১৮৯০ - রাশিয়ার জগদ্বিখ্যাত সুরকার আরেকজান্ডার বরোদিন। ১৯১৬ - মার্কিন কথাসাহিত্যিক হেনরি জেমস। ১৯২১ - স্যার রাসবিহারী ঘোষ ভারতীয় রাজনীতিবিদ, আইনজীবী, সমাজকর্মী এবং লোকহিতৈষী। (জ.২৩/১২/১৮৪৫) ১৯৩৬ - ভারতের স্বাধীনতা সমগ্রামের এক বিপ্লবী ও প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর পত্নী কমলা নেহেরু। (জ.০১/০৮/১৮৯৯) ১৯৬৩ - স্বাধীন ভারতের প্রথম রাষ্ট্রপতি ও খ্যাতনামা আইনজীবি ড. রাজেন্দ্র প্রসাদ প্রয়াত হন। ১৯৭০ - সাহিত্য সমালোচক শ্রীকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়। (জ.১৫/১০/১৮৯২) ২০১৯ - শাহ আলমগীর, বাংলাদেশি সাংবাদিক ও পিআইবির মহাপরিচালক। ছুটি ও অন্যান্য জাতীয় বিজ্ঞান দিবস (ভারত) ডায়াবেটিস সচেতনতা দিবস ৷ বহিঃসংযোগ বিষয়শ্রেণী:গ্রেগরীয় পঞ্জিকার দিন বিষয়শ্রেণী:ফেব্রুয়ারি বিষয়শ্রেণী:অসম্পূর্ণ দিনতারিখ
২৮ ফেব্রুয়ারি
right|thumb|খোল খোল হচ্ছে দুইদিক চামড়ায় আচ্ছাদিত ঢোলকাকার ঘাতবাদ্য যন্ত্র বিশেষ যার বামদিকটি সামান্য বড়। এই বাদ্যটি দুই (খালি) হাতে বাজান হয়। এতে গাবের স্হলে ময়দার প্রলেপ ব্যবহার হয় তাই আওয়াজ পাখোয়াজের থেকে চড়া। কীর্তনাঙ্গ সঙ্গীতে বহূল ব্যবহৃত। খোলের সঙ্গে সাধারণতঃ করতাল (বাদ্য) (বড় খঞ্জনি) বা মঞ্জীরা বাজে। মণিপুরী নাচে পুরুষ নর্তক পাং নামের খোলের মত একটি গলায় ঝুলিয়ে নাচে ও বাজতে বাজাতে ঘুরপাক খায়। বিষয়শ্রেণী:বাদ্যযন্ত্র বিষয়শ্রেণী:ইসলামী সঙ্গীত
খোল (বাদ্য)
ঘটনাবলী ০৭৮৬ - আল হাদির মৃত্যুর পর তার ভাই হারুন অর রশিদ আব্বাসীয় খলিফা নিযুক্ত হন। ১৩৮৯ - ওসমানিয় সৈন্যরা বাল্টিক অঞ্চলের সার্বিয়া অধিগ্রহণ করেন । ১৮০৪ - আবহাওয়া গবেষণার কাজে প্রথম বেলুন ব্যবহার করা হয়। ১৮১২ - রাশিয়ার রাজধানী মস্কোয় পৃথিবীর ইতিহাসের অন্যতম একটি ভয়াবহ অগ্নীসংযোগের ঘটনা ঘটে। ১৮৬৭ - সালে কার্ল মার্ক্স দাস কাপিটাল প্রকাশিত হয় । ১৯১৭ - রাশিয়াকে রিপাবলিক ঘোষণা করা হয়। ১৯৪৯ - ড. অ্যাডেনর জার্মানির প্রথম চ্যান্সেলর নিযুক্ত হন। ১৯৫৯ - প্রথম মহাশূন্যযান সোভিয়েতের লুনিক-২ চাঁদে অবতরণ করে। ১৯৬০ - সালে 'অর্গানাইজেশন অব পট্রোলিয়াম এক্সপোর্টিং কাউন্ট্রিস' (ওপেক) প্রতিষ্ঠিত হয় । ১৯৭৯ - সালে আফগানিস্তানের রাষ্ট্রপতি নূর মোহাম্মদ তারাকি সামরিক অভ্যুত্থানে নিহত হন । ১৯৮২ - লেবাননের রাষ্ট্রপতি বাসির গামায়েল নিহত হন। ১৯৮৪ - সালে কলকতায় পাতাল ট্রেন চালু হয় । ১৯৮৯ - এফ ডব্লু ডি ক্লার্ক দক্ষিণ আফ্রিকার রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। ২০০০ - সালে মাইক্রোসফট উইন্ডোজ এমই ( ME) বাজারে ছাড়ে । ২০০৩ - ইউরোপীয় ইউনিয়নে এস্তোনিয়ার অন্তর্ভুক্তি অনুমোদিত হয়। জন্ম ১৭৬৯ - আলেক্সান্ডার ভন হাম্বুল্ড, তিনি ছিলেন জার্মানীর খ্যাতনামা সমাজ বিজ্ঞানী। ১৭৯১ - ফ্রান্ৎস বপ, জার্মান ভাষাবিজ্ঞানী। ১৮৬৪ - রবার্ট সীসিল, তিনি ছিলেন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ইংরেজি আইনজীবী ও রাজনীতিবিদ। ১৮৭১ - ইয়োসেফ ব্লক, জার্মান সমাজতন্ত্রবাদী সাংবাদিক। ১৮৮৮ - অনুকূলচন্দ্র ঠাকুর, বাঙালি ধর্ম সংস্কারক।(মৃ.২৬/০১/১৯৬৯) ১৯০৯ - সুবোধ ঘোষ, ভারতীয় বাঙালি লেখক ও বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক।( মৃ.১০/০৩/১৯৮০) ১৯১৩ - জাকোব আর্বেঞ্জ, তিনি ছিলেন গুয়াতেমালার বিশিষ্ট বিপ্লবী ও ভূমিসংস্কার আন্দোলনের পুরোধা। ১৯২০ - লরেন্স রবার্ট ক্লাইন, তিনি ছিলেন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী আমেরিকান অর্থনীতিবিদ। ১৯২৮ - আলবের্তো কোর্দা, কিউবান আলোকচিত্র শিল্পী। ১৯৩৬ - ফরিদ মুরাদ, তিনি নোবেল পুরস্কার বিজয়ী আমেরিকান চিকিৎসক ও ফার্মাকোলজিস্ট। ১৯৪১ - রাম চাঁদ গোয়ালা, বাংলাদেশের প্রথম বাম-হাতি স্পিনার। (মৃ. ২০২০) ১৯৪৭ - স্যাম নিইল, তিনি আইরিশ নিউজিল্যান্ড অভিনেতা ও পরিচালক। ১৯৫৬ - কোস্তাস কারামানলিসের, তিনি গ্রিক আইনজীবী, রাজনীতিবিদ ও ১৮১ তম প্রধানমন্ত্রী। ১৯৬৫ - দিমিত্রি মেদভেদেভ, তিনি রাশিয়ান আইনজীবী, রাজনীতিবিদ ও ৩য় রাষ্ট্রপতি। ১৯৮৫ - আয়া উএট, তিনি জাপানি অভিনেত্রী ও গায়ক। ১৯৮৮ - কার্স্টেন হাগলুন্ড, তিনি আমেরিকান মডেল, ২০০৮ মিস আমেরিকা। মৃত্যু ১৩২১ - দান্তে আলিগিয়েরি, তিনি ছিলেন ইতালিয় কবি। ১৬৩৮ - জন হার্ভার্ড, তিনি ছিলেন ইংরেজ বংশোদ্ভূত আমেরিকান মন্ত্রী ও সমাজসেবী। ১৭১২ - জিওভান্নি ডোমেনিকো ক্যাসিনি, তিনি ছিলেন ইতালীয় ফরাসি গণিতবিদ, জ্যোতির্বিজ্ঞানী ও প্রকৌশলী। ১৮৫১ - জেমস ফেনিমরে কুপার, তিনি ছিলেন আমেরিকান সৈন্য ও লেখক। ১৯০১ - উইলিয়াম ম্যাকিন্‌লি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ২৫তম রাষ্ট্রপতি। (জ. ১৮৪৩) ১৯১৬ - হোসে এচেগারাই, তিনি ছিলেন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী স্প্যানিশ প্রকৌশলী, গণিতবিদ ও নাট্যকার। ১৯৭০ - রুডলফ করেনাপ, তিনি ছিলেন জার্মান দার্শনিক। ১৯৭১ - তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়, বাঙালি কথাসাহিত্যিক। (জ.২৩/০৮/ ১৮৯৮) ১৯৭৪ - ওয়ারেন হুল, তিনি ছিলেন আমেরিকান অভিনেতা ও গায়ক। ১৯৭৫ -নরেন্দ্রনাথ মিত্র , বাংলা ভাষার একজন অন্যতম শ্রেষ্ঠ ঔপন্যাসিক ও গল্পলেখক।(জ.৩০/০১/১৯১৬) ১৯৭৯ - নূর মোহাম্মদ তারাকি, তিনি ছিলেন আফগান সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ ও ৩য় প্রেসিডেন্ট। ১৯৮২ - বাসির গামায়েল, তিনি ছিলেন লেবাননের রাষ্ট্রপতি। ১৯৮৪ - জ্যানেট গেনর, মার্কিন অভিনেত্রী ও চিত্রশিল্পী। (জ. ১৯০৬) ২০০৫ - ভ্লাদিমির ভল্কঅফ, তিনি ছিলেন ফরাসি লেখক। ২০১২ - ডন বিননি, তিনি ছিলেন নিউজিল্যান্ড চিত্রশিল্পী। ২০২০ - বাংলাদেশের বর্ষীয়ান চলচ্চিত্র অভিনেতা সাদেক বাচ্চু। ছুটি ও অন্যান্য আজ হিন্দি দিবস। (ভারত) বহিঃসংযোগ বিষয়শ্রেণী:গ্রেগরীয় পঞ্জিকার দিন বিষয়শ্রেণী:সেপ্টেম্বর
১৪ সেপ্টেম্বর
ডেস্পারেট্‌ হাউজ্‌ওয়াইফ্‌স (Desperate Housewives) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি অতি জনপ্রিয় টেলিভিশন সিরিজ। তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ বিষয়শ্রেণী:মার্কিন টেলিভিশন ধারাবাহিক‎
ডেস্পারেট্‌ হাউজওয়াইভ্‌স