ashtrayAI's picture
Upload 1000 files
033fa95
raw
history blame
12 kB
Serial,Title,Date,Author,News
1039,প্রযুক্তিনির্ভর ব্যবসায় প্রশাসন শিক্ষার গুরুত্ব বাড়ছে,2021-08-10,ইত্তেফাক অনলাইন ডেস্ক,দিন দিন ব্যবসায় প্রশাসন শিক্ষার গুরুত্ব বৃদ্ধি পাচ্ছে। উচ্চশিক্ষার জন্য ব্যবসায় প্রশাসন এখন শিক্ষার্থীদের পছন্দের তালিকায় অন্যতম। সময়ের সঙ্গে বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি দেশীয় ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মপরিধি প্রতিনিয়ত বাড়ছে। ব্যবসায় প্রশাসনে একজন স্নাতক বিবিএ তার কর্মজীবনে আকর্ষণীয় বেতন উন্নত সুযোগসুবিধা ছাড়াও সৃজনশীলতার প্রকাশ ঘটিয়ে যেকোনো প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ পদগুলোতে কাজ করার সুযোগ পাচ্ছেন। কাজ করছেন বিশ্বব্যাংক থেকে শুরু করে অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থায়।প্রযুক্তিনির্ভর ব্যবসায় প্রশাসন শিক্ষায় ভূমিকা রাখছে ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড ইউনিভার্সিটি। বিশ্ববিদ্যালয়টির ৩টি অনুষদের অধীনে মোট ৪টি বিভাগ চালু রয়েছে। এর মধ্যে ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ অন্যতম। এ অনুষদের অধীনে রয়েছে ব্যাচেলর অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বিবিএ ও মাস্টার্স অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন এমবিএ।ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড ইউনিভার্সিটিরআইএসইউ এর উপাচার্য প্রফেসর ড. আব্দুল আউয়াল খান বলেন ভবিষ্যতের ভালোর জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সব সাবজেক্টই গুরুত্বপূর্ণ। তবে এই ক্ষেত্রে বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন সামনের সারির। অন্যান্য বিষয়ের চেয়ে বিবিএতে ক্যারিয়ার গড়া সহজ ও সুযোগ বেশি। এই বিষয়ে অনেক স্নাতক বহুজাতিক কোম্পানিতে কাজ করার স্বপ্ন দেখেন। যে সুযোগ করে দিচ্ছে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়। বিবিএতে তাত্ত্বিক বিষয়ের চেয়ে ব্যবহারিক বা প্রায়োগিক বিষয় বেশি প্রয়োজনীয়। তাই আমরা এধরনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো মাথায় রেখে কাজ করে যাচ্ছি।বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের শিক্ষার্থীবৃন্দ দুই ধরনের কাজ করতে পারেন। উদ্যোক্তা হয়ে নিজের মতো কাজ করা নয়তো অন্যের অধীনে চাকরি করা। উদ্যোক্তা হতে আর্থিক মূলধন দরকার হওয়াতে পড়াশুনা শেষে বিশেষায়িত কোনো প্রতিষ্ঠানে কাজ করাই থাকে এই বিষয়ের শিক্ষার্থীদের মূল লক্ষ্য। সফল ব্যাংকার হওয়ার জন্যও অনেকে বিবিএতে পড়েন। বিভাগ সংশ্লিষ্টরা বলছেন চাকরির ক্ষেত্রে ব্যবসায় প্রশাসনের একজন শিক্ষার্থীর শিক্ষা স্তর তাঁর অন্যান্য যোগ্যতা উপর নির্ভর করে। দেখা যায় একজন ব্যক্তির স্নাতক বা মাস্টার ডিগ্রী আছে। কিন্তু অন্যজনের স্নাতকের পাশাপাশি কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে। সে কর্মদক্ষতা প্রমাণ করেছে। তখন নির্দিষ্ট চাকরির জন্য যোগ্যতার বিচারে সে এগিয়ে যাবে। আমাদের সরকারিবেসরকারি অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএর শিক্ষার্থীদের অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ থাকে না। হাতেকলমে অভিজ্ঞতার অভাবে পিছিয়ে পড়েন। এসব বিষয় চিন্তা করে ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড ইউনিভার্সিটি প্রাতিষ্ঠানিক প্রয়োজনীয়তাও ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের উপযোগী দক্ষ ও যোগ্য মানবসম্পদ তৈরিতে কাজ করে যাচ্ছে।এ সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট বিভাগের চেয়ারর্পাসন অলি আহাদ ঠাকুর বলেন ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের উপযোগী দক্ষ ও যোগ্য মানব সম্পদ তৈরির লক্ষ্যে ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড ইউনিভার্সিটির বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ডিপার্টমেন্টকে সাজানো হয়েছে। প্রচলিত ধারণার বাইরে এবং আন্তর্জাতিক মানকে সামনে রেখে আমাদের বিভাগের পাঠ্যক্রম প্রস্তুত করা হয়েছে এবং সেই অনুযায়ী দক্ষ ও যোগ্য শিক্ষক নিয়োগ ও আধুনিক পাঠদান পদ্ধতি নিশ্চিত করা হয়েছে। এর পাশাপাশি শিক্ষার্থী ও শিক্ষকবৃন্দের গবেষণা কার্যক্রমকে উদ্বুদ্ধ করার লক্ষ্যে বিভিন্ন ধরণের প্রাতিষ্ঠানিক কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। এই ধারাবাহিকতায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দেশি ও বিদেশী বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সুসম্পর্ক স্থাপন ও পারস্পরিক সহযোগিতা বজায় রেখেছে। এছাড়াও স্ট্যান্ডার্ড গ্রুপের বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ডিপার্টমেন্টের শিক্ষার্থীদের ইন্টার্নশিপ ও যোগ্যতাসম্পন্ন গ্রাজুয়েটদের চাকরি দিতে প্রস্তুত করা হয়।পুরো ক্যাম্পাসে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা সিসিটিভি মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর সুবিধা সংবলিত ক্লাসরুম অত্যাধুনিক ল্যাঙ্গুয়েজ ল্যাব ওয়াইফাই সংযোগসহ সকল প্রকার আধুনিক সুযোগসুবিধা বিদ্যমান। ধূমপানমুক্ত এবং স্বাস্থ্যকর পরিবেশ। বিশ্ববিদ্যালয় ভবনের ৮ম তলায় রয়েছে সমৃদ্ধ লাইব্রেরি। এটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত হওয়া শিক্ষার্থীদের পড়ার মনোযোগেও ব্যাঘাত ঘটে না। দেশের শীর্ষস্থানীয় পোশাক রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড গ্রুপ এর দুইকর্ণধার ও আইএসইউ বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার এ কে এম মোশাররফ হুসাইন ও ভাইসচেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো. আতিকুর রহমান বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেন। প্রতিষ্ঠাতারা বলছেন স্ট্যান্ডার্ড গ্রুপের ৩০টির ও অধিক সহযোগী প্রকল্পের মধ্যে ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড ইউনিভার্সিটি অন্যতম সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে একটি আন্তর্জাতিক মানের বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলার ব্যাপারে তাঁরা অঙ্গীকারবদ্ধ। শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের জন্য প্রয়োজনীয় কর্মদক্ষতার কথা চিন্তা করে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে আইইউএসি ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি এ্যাসুরেন্স সেল গঠন করে। ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড ইউনিভার্সিটি গবেষণাকে গুরুত্ব দিয়ে সম্প্রতি আইএসইউ সেন্টার ফর রিসার্চ এন্ড পাবলিকেশন নামে একটি গবেষণা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেছে যার অধীনে দুটি আন্তর্জাতিক মানের জার্নাল প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা রয়েছে।ইত্তেফাকজেডএইচডি