title
stringlengths
9
97
content
stringlengths
48
3.94k
চাপে প্রলোভনেও সোচ্চার জাফরুল্লাহ
প্রতিবাদী ও একজন সংগঠকের ভূমিকায় আমরা তাঁকে দেখি। ’সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর মতে, ‘ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী কোনো রাজনৈতিক দলের সমর্থক নন। তিনি যখন যা-ই বলেন সেটি তাঁর বিবেচনাবোধ থেকে। নিজের স্বার্থ বা উপার্জনের কথা চিন্তা করে তিনি কথা বলেন না
চাপে প্রলোভনেও সোচ্চার জাফরুল্লাহ
সত্য বলায় শুভাকাঙ্ক্ষীদের কোনো নিষেধও তিনি শোনেন না। ’ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হক মনে করেন, ‘জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মধ্যে অসাধারণত্ব আছে এবং তিনি সঠিক ও সত্য কথাই বলেন। এই সত্যের হিসাব যখন কারো অপছন্দ হয়, তখনই তারা পাগলামির প্রসঙ্গটি ভাবতে থাকে। ’ তিনি বলেন, তাঁর মতো সাহসী ও প্রতিবাদী মানুষকে আওয়ামী লীগ বা বিএনপির লোক না বলাই ভালো
চাপে প্রলোভনেও সোচ্চার জাফরুল্লাহ
কারণ তিনি জন-আকাঙ্ক্ষার দিকে তাকিয়ে সহজ-সরলভাবে মত প্রকাশ করে থাকেন।সম্প্রতি কালের কণ্ঠ’র সঙ্গে দীর্ঘ আলাপে জাফরুল্লাহ চৌধুরী মুক্তিযুদ্ধে তাঁর অংশগ্রহণসহ স্বাধীনতা-পরবর্তী কয়েকজন সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়সহ বিভিন্ন বিষয়ে স্মৃতিচারণা করেন। তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকার বিএনপিকে ধ্বংস করতে গিয়ে কার্যত রাজনীতিকেই ধ্বংস করেছে। এ জন্য দেশে হিংসা-বিদ্বেষ তৈরি হয়েছে
চাপে প্রলোভনেও সোচ্চার জাফরুল্লাহ
রাজনীতি থেকে এই হিংসা-বিদ্বেষ দূর করার জন্য আমি এখনো দুই দলের মধ্যে এটা সমঝোতার চেষ্টা করে যাচ্ছি। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে বলতে হয়, গত দুই বছরের বেশি সময় ধরে চেষ্টা করেও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পাচ্ছি না। একদল আমলা তাঁকে ঘিরে রেখেছে। ’জাফরুল্লাহ জানান, ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর সর্বশেষ দেখা হয়েছিল
চাপে প্রলোভনেও সোচ্চার জাফরুল্লাহ
এর আগে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার পর এবং ডা. ওয়াজেদ মিয়ার মৃত্যুর পরও তিনি শেখ হাসিনার বাসায় গিয়ে তাঁকে সান্ত্বনা দিয়েছেন। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় আহত নেতাকর্মীদের চিকিৎসায় সব ধরনের সহযোগিতা করেছেন। ১৯৯৬ সালে প্রথমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়ে শেখ হাসিনা নিজেই তাঁকে ডেকে বিভিন্ন বিষয়ে তাঁর সঙ্গে পরামর্শ করেছেন বলেও জানান ডা. জাফরুল্লাহ। তিনি বলেন, ‘দেশে রাজনৈতিক বিভাজনের এই সময়ে একজন অভিভাবকের বড় অভাব
চাপে প্রলোভনেও সোচ্চার জাফরুল্লাহ
’এরশাদবিরোধী আন্দোলনে শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়াকে আলোচনার টেবিলে বসানোয় নেপথ্যে মূল ভূমিকা রেখেছিলেন প্রখ্যাত সাংবাদিক প্রয়াত ফয়েজ আহমদ। এর পরের কয়েক দশকে প্রখ্যাত আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিক-উল হককে দুই নেত্রীর সঙ্গে কথা বলতে দেখা গেছে। তাঁর মৃত্যুর পর দুই নেত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ থাকা সর্বশেষ মানুষটি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলে অনেকে মনে করেন। কারণ দুই নেত্রীর সঙ্গে তাঁর একাধিকবার দেখা হয়েছে, বৈঠকও করেছেন
চাপে প্রলোভনেও সোচ্চার জাফরুল্লাহ
তাঁদের বিরুদ্ধে যায় এমন কথা বলে আবার তাঁদের বিপদে পাশেও দাঁড়িয়েছেন। এরশাদ আমলে খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তার করা হলে তাঁকে দ্রুত মুক্তি দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন। এখন আবার খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি জানাচ্ছেন। যদিও বর্তমান রাজনৈতিক বৈরিতা দূর করতে বেশ কয়েকবার চেষ্টা করেও তিনি সফল হতে পারেননি
চাপে প্রলোভনেও সোচ্চার জাফরুল্লাহ
তবু থেমে নেই। অদম্য এই মানুষটি ৮০ বছর বয়সেও রাজনীতিসহ জাতীয় প্রায় প্রতিটি ইস্যুতে তৎপর রয়েছেন, প্রতিবাদ করছেন।গত কয়েক বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে দুই দফা খোলা চিঠি দিয়ে আলোচিত হয়েছেন ডা. জাফরুল্লাহ। যদিও ওই চিঠির বিষয়ে দুই নেত্রীর পক্ষ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি
চাপে প্রলোভনেও সোচ্চার জাফরুল্লাহ
প্রখ্যাত সাংবাদিক ও কলামিস্ট আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী ডা. জাফরুল্লাহর কিছু মতামত ও তৎপরতাকে ‘পাগলামি’ বলে অভিহিত করেছেন। দু-একটি লেখায় তাঁকে ‘বিএনপির অভিভাবক’ বলেও অভিহিত করেন তিনি।এর মূল কারণ হলো জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠনে ভূমিকা পালন করেছিলেন জাফরুল্লাহ। কিন্তু এই জাফরুল্লাহর পরামর্শেই যে ১৫ আগস্ট খালেদা জিয়া কেক কাটা বন্ধ করেছেন সেটি অনেকেরই জানা নেই
চাপে প্রলোভনেও সোচ্চার জাফরুল্লাহ
শুধু তা-ই নয়, খালেদা জিয়ার ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুর পর ২০১৫ সালের ২৫ জানুয়ারি গুলশান কার্যালয়ে গিয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানানোর জন্য উপস্থিত বিএনপি নেতাদের অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু নেতাদের একটিই কথা ছিল, পত্রিকায় হেডিং করার বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে শেখ হাসিনা আসছেন। তাঁর অনুরোধ উপেক্ষিত হলে তিনি গুলশান কার্যালয় ত্যাগ করেন। পরে কার্যালয়ের ফটক বন্ধ করে দেওয়া হলে শেখ হাসিনা সেদিন ফিরে যেতে বাধ্য হন
চাপে প্রলোভনেও সোচ্চার জাফরুল্লাহ
ওই দিন খালেদা জিয়া খবর দিয়ে জাফরুল্লাহকে ডেকে নিলেও শেষ পর্যন্ত উপস্থিত গুলশান কার্যালয়ে কর্মকর্তারা তাঁকে দেখা করতে দেননি। বলা হয়েছিল, তিনি ঘুমিয়ে আছেন। এ প্রসঙ্গে জাফরুল্লাহ চৌধুরী কালের কণ্ঠকে জানান, ‘ওই ঘটনার বেশ কিছুদিন পর খালেদা জিয়া আবারও আমাকে ডেকে পাঠান। সেদিন গিয়ে আমি ফিরে এসেছি বলে জানালে খালেদা জিয়া বলেন, আপনি এসেছিলেন এ কথা আমাকে কেউ জানায়নি
চাপে প্রলোভনেও সোচ্চার জাফরুল্লাহ
’ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়াও আমাকে বলেন, পত্রিকায় হেডিং করার জন্য প্রধানমন্ত্রী এসেছিলেন। কিন্তু আমি তাঁকে বলেছি যে সেটা হয়তো সত্য। কিন্তু আপনি তখন বলতে পারতেন যে আমার ছেলে তারেককে আমার কাছে এনে দেন। তাহলে আপনিই হেডিং হয়ে যেতেন
চাপে প্রলোভনেও সোচ্চার জাফরুল্লাহ
’তারেক রহমানের বদলে তাঁর স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমান অথবা তাঁর মেয়ে ব্যারিস্টার জাইমা রহমানকে বিএনপির নেতৃত্বে আসার পরামর্শ দেওয়ায় ইদানীং জাফরুল্লাহর কর্মকাণ্ডকে আড়ালে পাগলামি বলছেন বিএনপির অনেকেও। অথচ জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠনে ভূমিকা পালনের জন্য সরকারের কাছে এই জাফরুল্লাহই আবার ব্যাপকভাবে সমালোচিত (কারো কারো মতে শত্রুও)। ঐক্যফ্রন্ট করার কারণে তাঁর প্রতিষ্ঠিত গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে হামলা এবং মামলা পর্যন্ত হয়েছে। কিন্তু এসবের থোরাই কেয়ার করেন ডা. জাফরুল্লাহ
চাপে প্রলোভনেও সোচ্চার জাফরুল্লাহ
এখনো তিনি সরকারের বিরুদ্ধেও বলেন, বিএনপির বিরুদ্ধেও বলেন। সর্বশেষ গত ২৬ জুন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে বলতে গিয়ে ছাত্রদলের কয়েক নেতার বাধার মুখে পড়েন জাফরুল্লাহ। অথচ এ নিয়ে তাঁর বিরূপ কোনো প্রতিক্রিয়া নেই। কালের কণ্ঠকে তিনি বলেন, ‘ওরা ছেলে মানুষ, কী বলেছে এটা বড় বিষয় নয়
চাপে প্রলোভনেও সোচ্চার জাফরুল্লাহ
’জাফরুল্লাহ জানান, যত দিন তিনি বেঁচে থাকবেন, তাঁর চোখে ধরা পড়া অসংগতি ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলে যাবেনই। কারণ তাঁর হারানো বা চাওয়া-পাওয়ার কিছু নেই। তাঁর ভাষায়, ‘অধিকাংশ বুদ্ধিজীবী দলকানা হয়ে গেছেন। আবার যাঁরা আছেন, তাঁরা উদ্যোগী নন
চাপে প্রলোভনেও সোচ্চার জাফরুল্লাহ
সাহস হারিয়ে গেছে। হতাশ। বলছেন, এ দেশে আর কিছু হবে না। কিন্তু শূন্যতা পৃথিবীর ধর্ম নয়
চাপে প্রলোভনেও সোচ্চার জাফরুল্লাহ
পরিবর্তন হঠাৎ করেই হবে। ’ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী ছাত্রজীবন থেকেই প্রতিবাদী। তাঁর বাবার শিক্ষক ছিলেন বিপ্লবী মাস্টারদা সূর্য সেন। ষাটের দশকে ঢাকা মেডিক্যালে ছাত্র থাকার সময়ই সেই মেডিক্যালের দুর্নীতির বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করে জাফরুল্লাহ আলোচিত হন
চাপে প্রলোভনেও সোচ্চার জাফরুল্লাহ
এরপর মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে এফআরসিএস চূড়ান্ত পর্ব শেষ না করেই লন্ডন থেকে তিনি ভারতে চলে আসেন। সেখানে আগরতলা মেলাঘরে গেরিলা প্রশিক্ষণ নেন। এরপর ডা. এম এ মবিনের সঙ্গে মিলে আহত মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসার জন্য সেখানেই ৪৮০ শয্যার ‘বাংলাদেশ ফিল্ড হাসপাতাল’ প্রতিষ্ঠা করেন।দেশের মানুষকে কম পয়সায় চিকিৎসা দিতে সাভারে আজকের গণস্বাস্থ্য হাসপাতালটি স্বাধীনতার পর তিল তিল করে তিনি গড়ে তোলেন
চাপে প্রলোভনেও সোচ্চার জাফরুল্লাহ
হাসপাতালটির নাম ‘গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র’ দিয়েছেন স্বয়ং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। কেন্দ্রটির জন্য ৩১ একর জমি বরাদ্দ তাঁরই দেওয়া। বাংলাদেশ আজকে যে ওষুধে স্বয়ংসম্পূর্ণ এটি ডা. জাফরুল্লাহর অবদান। এরশাদ সরকারের সময়ে ১৯৮২ সালে তাঁরই প্রণীত ‘জাতীয় ঔষধ নীতি’ স্বাস্থ্য খাতে সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি বলে বিবেচনা করা হয়
চাপে প্রলোভনেও সোচ্চার জাফরুল্লাহ
কারণ ওই নীতির ফলে চাহিদার ৯০ শতাংশ ওষুধই এখন দেশে তৈরি হচ্ছে এবং বাংলাদেশ আজ একটি ওষুধ রপ্তানিকারণ দেশ।কিন্তু বিড়ম্বনার বিষয় হচ্ছে, বিএনপির সঙ্গে সুসম্পর্কের কারণে আওয়ামী লীগের সঙ্গে জাফরুল্লাহর আজ সম্পর্কের টানাপড়েন তৈরি হয়েছে। অথচ এরশাদ আমলের ঔষধ নীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকায় বিএনপি সরকারের সময় ১৯৯২ সালে তত্কালীন বিএমএ তাঁর সদস্য পদ বাতিল করে। এমনকি ওই সময় তাঁর ফাঁসি চেয়ে পোস্টারও লাগানো হয়
চাপে প্রলোভনেও সোচ্চার জাফরুল্লাহ
জন্ম নিয়ন্ত্রণ বা পরিবার পরিকল্পনার ক্ষেত্রে জাফরুল্লাহ চৌধুরীর অসামান্য ভূমিকা রয়েছে। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু সরকারকে এ বিষয়ে তিনি উৎসাহিত করেন। বঙ্গবন্ধুর কাছে তিনি প্রস্তাব করেন যে প্রথমে পুরুষদের বন্ধ্যাকরণ করতে হবে। কিন্তু তার এ প্রস্তাব বঙ্গবন্ধু হাসতে হাসতে উড়িয়ে দেন
চাপে প্রলোভনেও সোচ্চার জাফরুল্লাহ
পরে তিনি লাইগেশন সার্জারির উদ্ভাবন করেন। তাঁর এসংক্রান্ত পেপারটি বিশ্ববিখ্যাত মেডিক্যাল জার্নাল ল্যানসেটে মূল আর্টিকল হিসেবে ছাপা হয়। ১৫০ বছরের মধ্যে এটিই প্রথম কোনো বাঙালির ল্যানসেটে ছাপা আর্টিকল। স্বাস্থ্য খাতে উন্নয়নসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য ১৯৮৫ সালে তিনি বিকল্প নোবেল খ্যাত র্যামন ম্যাগসেসাই পুরস্কার লাভ করেন
চাপে প্রলোভনেও সোচ্চার জাফরুল্লাহ
ডা. জাফরুল্লাহর প্রণীত স্বাস্থ্যনীতি দেশে-বিদেশে এতটাই প্রশংসিত হয় যে ভারতের প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী তাঁকে আমন্ত্রণ করে ভারতে নিয়ে যান এবং ভারত কিভাবে ওষুধ শিল্পে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে পারে তার পলিসি নির্ধারণ করে দেওয়ার অনুরোধ করেন।এ প্রসঙ্গে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘সম্ভবত ১৯৮৮ সালের দিকে তিনি কয়েকবার আমাকে খবর পাঠান। পরে ভারতের তত্কালীন হাইকমিশনার সাভারে গিয়ে আমাকে অনুরোধ করেন। তিনি আমার জন্য টিকিট ও ভিসা সঙ্গে নিয়ে আসেন
চাপে প্রলোভনেও সোচ্চার জাফরুল্লাহ
এর কিছুদিন পর বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটে বোম্বাই গেলে সেখান থেকে ভারতীয় বিমানবাহিনীর একটি বিশেষ ফ্লাইটে আমাকে দেশটির সংসদ ভবনে নিয়ে যাওয়া হয়। ’ তিনি বলেন, অনেক আলোচনার পর ভারতের স্বাস্থ্য সেক্টরে উন্নয়নের একটি পলিসি আমি করে দিয়েছিলাম। কিন্তু সেটি বাস্তবায়নের আগেই রাজীব গান্ধী মারা যান। পরে ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন ঢাকায় আমার সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন
চাপে প্রলোভনেও সোচ্চার জাফরুল্লাহ
ডা. জাফরুল্লাহর মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের গল্পটিও রোমাঞ্চকর। ওই সময় পাকিস্তানি বাহিনীর নির্মমতার প্রতিবাদে লন্ডনের হাইডপার্কে যে কয়েকজন বাঙালি তাঁদের পাসপোর্ট ছিঁড়ে আগুন লাগিয়ে রাষ্ট্রবিহীন নাগরিকে পরিণত হয়েছিলেন তাঁদের একজন তিনি। ফলে ভারতীয় ভিসার জন্য তখন ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্র দপ্তর থেকে তাঁকে ‘রাষ্ট্রবিহীন নাগরিকে’র প্রত্যয়নপত্র জোগাড় করে নিতে হয়।মুক্তিযুদ্ধে তাঁর অংশগ্রহণের বিষয়ে শহীদ জননী জাহানারা ইমামের ‘একাত্তরের দিনগুলি’ থেকে জানা যায়, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী ও ডা. এম এ মবিনের লন্ডনে এফআরসিএস পরীক্ষার মাত্র এক সপ্তাহ আগে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলো
চাপে প্রলোভনেও সোচ্চার জাফরুল্লাহ
তাঁরা পরীক্ষা বাদ দিয়ে ভারতীয় ট্রাভেল পারমিট জোগাড় করে দিল্লিগামী প্লেনে চড়ে বসলেন। “প্লেনটি ছিল সিরিয়ান এয়ারলাইনসের। দামাস্কাসে পাঁচ ঘণ্টা প্লেন লেট, সব যাত্রী নেমেছে। ওরা দুজন আর প্লেন থেকে নামে না
চাপে প্রলোভনেও সোচ্চার জাফরুল্লাহ
ভাগ্যিস নামেনি। এয়ারপোর্টে পাকিস্তানি এক কর্নেল উপস্থিত ছিল ওই দুজন ‘পলাতক পাকিস্তানি নাগরিককে’ গ্রেপ্তার করার জন্য। প্লেনের মধ্য থেকে কাউকে গ্রেপ্তার করা যায় না, কারণ প্লেন হলো ইন্টারন্যাশনাল জোন। ” পরে সিরিয়ান এয়ারপোর্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন ওঁদের জন্যই প্লেন পাঁচ ঘণ্টা আটকে রাখা হয়েছিল
চাপে প্রলোভনেও সোচ্চার জাফরুল্লাহ
জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘আগরতলায় জিয়াউর রহমানের সঙ্গে আমার প্রথম দেখা হয়। তাঁর ব্যাপারে খুব আগ্রহ ছিল। ’ স্বাধীনতার পর বেশ কয়েকবার জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে দাওয়াত করে নিয়ে যান রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। জাফরুল্লাহকে সরাসরি মন্ত্রী হওয়ার প্রস্তাব দেন; কিন্তু তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন
চাপে প্রলোভনেও সোচ্চার জাফরুল্লাহ
বলেন, আপনি দেশ স্বাধীন করতে শাহ আজিজুর রহমান ও শফিউল আযমদের (সচিব) বুদ্ধি লাগেনি। তাহলে দেশ চালাতে এই স্বাধীনতাবিরোধীদের লাগবে কেন? জিয়াউর রহমান তখন দেশের প্রয়োজনে ‘অ্যাকোমোডেটিভ’ (সবাইকে নিয়ে) রাজনীতির কথা বলে যুক্তি দেন। পাশাপাশি ক্ষুব্ধ কণ্ঠে এ-ও বলেন যে আপনারা সমালোচনা করবেন অথচ দায়িত্ব দিলে সেটি নিতে চাইবেন না।জিয়ার স্মৃতিচারণা করে জাফরুল্লাহ বলেন, ‘আমার মা হাসিনা বেগমকে একবার বেশ ধরেছিলেন জিয়াউর রহমান
চাপে প্রলোভনেও সোচ্চার জাফরুল্লাহ
তো সব মা-ই চায় ছেলে মন্ত্রী হোক। আমি বিপদে পড়ে গেলাম। পরে আমাকে মন্ত্রী করা হলে কী কী অসুবিধা হবে তার ফিরিস্তি তুলে ধরে উনাকে (জিয়াকে) চার পৃষ্ঠার একটি চিঠি লিখেছি। পরে আরো বহুবার দেখা হয়েছে, সব সময় একই কথা বলতেন, আই গিভ ইউ দ্য ব্লাংক চেক
চাপে প্রলোভনেও সোচ্চার জাফরুল্লাহ
যেকোনো মন্ত্রণালয় দিতে রাজি আছেন। মন্ত্রী না হতে চাওয়ায় একসময় কিছুটা দূরত্ব হলে পরে তিনি আবার ডেকে পাঠাতেন। ’অবিস্মরণীয় ঘটনা হলো ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ট্র্যাজেডির দুই দিন আগে ১৩ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে এবং ১৯৮১ সালের ৩০ মে নিহত হওয়ার দুই দিন আগে ২৮ মে জিয়াউর রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়েছিল জাফরুল্লাহ চৌধুরীর।১৩ আগস্ট সাভারে লোক পাঠিয়ে বঙ্গবন্ধু ডেকে নেন ডা. জাফরুল্লাহকে
চাপে প্রলোভনেও সোচ্চার জাফরুল্লাহ
বলেন, ‘ডাক্তার, তুমিই ঠিক। সমাজতন্ত্রই আমাদের পথ। আমি তোদের সবাইকে নিয়ে করতে চাই। ’ কিন্তু জাফরুল্লাহ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু, আপনি তো পুঁজিবাদে বিশ্বাস করেন
চাপে প্রলোভনেও সোচ্চার জাফরুল্লাহ
’সেদিন কথায় কথায় বঙ্গবন্ধুকে জাফরুল্লাহ জানালেন, তাঁর বিদেশি স্ত্রী বিলাতে অসুস্থ। অথচ তাঁকে বিলাতে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। কে যেতে দিচ্ছে না বঙ্গবন্ধু জানতে চাইলে জাফরুল্লাহ বলেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। তখনকার দিনে বিদেশে যেতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অনাপত্তিপত্র প্রয়োজন হতো
চাপে প্রলোভনেও সোচ্চার জাফরুল্লাহ
বঙ্গবন্ধু সঙ্গে সঙ্গে ফোন করে ওখানে বসেই তাঁর সচিব টি হোসেনের মাধ্যমে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে অনাপত্তিপত্র আনার ব্যবস্থা করেন। তখন জাফরুল্লাহ আরেক সমস্যার কথা জানিয়ে বললেন, লন্ডনে গেলে টাকার সমস্যা হবে না। কিন্তু বিমানবন্দর থেকে বাসায় যাওয়ার জন্য ১০ পাউন্ড দরকার হবে, যা তাঁর কাছে নেই। এটা কারা দেয় বঙ্গবন্ধু জানতে চাইলে জাফরুল্লাহ বলেন বাংলাদেশ ব্যাংক
চাপে প্রলোভনেও সোচ্চার জাফরুল্লাহ
এরপর বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ ব্যাংকে ফোন করে ১০ পাউন্ড জোগাড় করে জাফরুল্লাহর হাতে দেন। বলেন, ‘যাও, বউকে দেখাশোনা করে ফিরে এসো। ’১৪ আগস্ট জাফরুল্লাহ চৌধুরী লন্ডনের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন। ১৫ আগস্ট তিনি হিথ্রো বিমানবন্দরে পৌঁছানোর আগেই সপরিবারে নিহত হন বঙ্গবন্ধু
চাপে প্রলোভনেও সোচ্চার জাফরুল্লাহ
সেদিনের পরিস্থিতি বর্ণনা করে জাফরুল্লাহ বলেন, ‘বিমানবন্দরে নামতেই দেখি ‘মি. চৌধুরী মি. চৌধুরী’ বলে মাইকে কে যেন চিৎকার করছে। হাত তুলতেই লন্ডনের গণমাধ্যমের অপেক্ষমাণ সাংবাদিকরা ঘিরে ধরলেন। জানতে চাইলেন, ‘মিস্টার চৌধুরী, ইউর প্রাইম মিনিস্টার হ্যাভ বিন কিলড। হোয়াট ইজ ইউর রি-অ্যাকশন!’ তিনি জানান, চোখ দিয়ে কখন পানি বের হলো, টের পাইনি
চাপে প্রলোভনেও সোচ্চার জাফরুল্লাহ
মাত্র এক দিন আগে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে চার ঘণ্টা গল্প করেছি। বললাম, ‘হি পেইড দ্য ন্যাশন উইথ হিজ ওউন ব্লাড (তিনি নিজের রক্ত দিয়ে জাতির ঋণ পরিশোধ করে গেলেন)’ এটাই পরদিন লন্ডনের সব পত্রিকায় হেডিং হয়েছিল—জানালেন ডা. জাফরুল্লাহ।জিয়াউর রহমানের হত্যাকাণ্ডেরও ঠিক এক দিন আগে ১৯৮১ সালের ২৮ মে বঙ্গভবনে তাঁর সঙ্গে শেষ দেখা হয়েছিল ডা. জাফরুল্লাহর। ওই দিন প্ল্যানিং কমিশনের একটি বৈঠকে আন-অফিশিয়াল সদস্য হিসেবে ডা. জাফরুল্লাহকেও ডাকা হয়
চাপে প্রলোভনেও সোচ্চার জাফরুল্লাহ
জাফরুল্লাহ পরিবার পরিকল্পনার বিষয়ে আলোচনা তুলে সেদিন বলেছিলেন, মানুষ বাড়ছে কি কমছে এ জন্য জন্ম-মৃত্যুর হিসাব থাকা দরকার। জিয়াকে তিনি এ-ও বলেন, তাঁর সরকারের কোনো জবাবদিহি নেই। মাদক, মদ ও সিগারেট নিরুৎসাহ করতে দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করলে জিয়া খেপে গিয়ে বলেন, ‘আমি তো সিগারেট খাই না। মদ, সিগারেট খায় আপনার বন্ধু এনায়েতউল্লাহ (প্রয়াত সাংবাদিক এনায়েতউল্লাহ খান)
চাপে প্রলোভনেও সোচ্চার জাফরুল্লাহ
’সেদিন বঙ্গবভবন থেকে চলে আসার সময় তত্কালীন এনএসআই প্রধান মেজর জেনারেল মহব্বতজান চৌধুরীর সঙ্গে দেখা হয় জাফরুল্লাহর। অভিযোগ করে মহব্বতজান বলেছিলেন, চট্টগ্রাম যাওয়ার বিষয়ে তাঁদের নিষেধাজ্ঞা প্রেসিডেন্ট শুনছেন না। ‘প্রেসিডেন্টকে বোঝানোর দায়িত্ব আপনাদের’ এমন কথা বলে সেদিন বঙ্গভবন ত্যাগ করেছিলেন জাফরুল্লাহ। পরদিন ২৯ মে বিমানের একটি ফ্লাইটে চট্টগ্রামে যান জিয়াউর রহমান। ৩০ মে এক দল সেনা সদস্যের হাতে তিনি নিহত হন।বঙ্গবন্ধু ও জিয়াউর রহমান দুটি হত্যাকাণ্ডেরই এক দিন আগে তাঁর সঙ্গে এই দেখা হওয়ার ঘটনাকে নিজের জন্য ‘দুর্ভাগ্যজনক’ বলে মনে করেন জাফরুল্লাহ। তিনি বলেন, ‘একইভাবে আমার সঙ্গে সাক্ষাতের কিছুদিন পর রাজীব গান্ধীও বোমা বিস্ফেরণে নিহত হলেন!’
২৪ বছরের চেষ্টায় মিলল অপহৃত ছেলে
চীনে এক ব্যক্তি ২৪ বছর ধরে খোঁজাখুঁজি করার পর অবশেষে তাঁর অপহৃত সন্তানকে ফিরে পেয়েছেন। এ জন্য একটি মোটরবাইকে চড়ে দেশের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে পাঁচ লাখ কিলোমিটারেরও বেশি পথ ছুটে বেড়িয়েছেন তিনি। শ্যানডং প্রদেশে গুয়ো গানতাংয়ের বাড়ির সামনে থেকে মানবপাচারকারীরা তাঁর দুই বছর বয়সী ছেলেকে অপহরণ করেছিল ১৯৯৭ সালে।তাঁর সন্তানের এই নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে হংকংয়ে ২০১৫ সালে একটি বহুল আলোচিত চলচ্চিত্র নির্মিত হয়, যাতে সুপারস্টার অ্যান্ডি লাও অভিনয় করেছিলেন
২৪ বছরের চেষ্টায় মিলল অপহৃত ছেলে
শিশু অপহরণ চীনের একটি বড় সমস্যা এবং দেশটিতে প্রতিবছর হাজার হাজার শিশু অপহরণের ঘটনা ঘটে।চীনের জননিরাপত্তাসংক্রান্ত মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে পুলিশ ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে গুয়ো গানতাংয়ের সন্তানকে চিহ্নিত করতে সক্ষম হয়। এই অপহরণের ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে সন্দেহভাজন দুই ব্যক্তিকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। আটক এই দুই ব্যক্তির একজন নারী এবং অপরজন পুরুষ
২৪ বছরের চেষ্টায় মিলল অপহৃত ছেলে
বলা হচ্ছে, অপহরণের ঘটনার সময় তাঁদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল।চায়না নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই দুই ব্যক্তি একটি শিশু অপহরণ করার পরিকল্পনা করেন। তাঁদের উদ্দেশ্য ছিল অর্থের বিনিময়ে শিশুটিকে বিক্রি করে দেওয়া। তাঁরা গানতাংয়ের সন্তানকে বাড়ির বাইরে খেলতে দেখেন
২৪ বছরের চেষ্টায় মিলল অপহৃত ছেলে
তখন সন্দেহভাজন নারী শিশুটিকে চুরি করে একটি বাসস্টেশনে নিয়ে যান, যেখানে তাঁর পুরুষ বন্ধু অপেক্ষা করছিলেন। তাঁরা চুরি করা বাচ্চাটিকে নিয়ে একটি ইন্টারসিটি বাসে ওঠেন। পরে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় হেনান প্রদেশে এবং সেখানে বাচ্চাটিকে বিক্রি করে দেওয়া হয়।১৯৯৭ সালের এই ঘটনার পর সন্তানের খোঁজে মোটরবাইকে করে সারা দেশে চষে বেড়িয়েছেন গানতাং
২৪ বছরের চেষ্টায় মিলল অপহৃত ছেলে
যেখানেই ক্লু পেয়েছেন, সেখানেই ছুটে গেছেন। সন্তানের খবর পেয়ে মোটরবাইক নিয়ে ২০টিরও বেশি প্রদেশে গেছেন তিনি। গানতাং তাঁর মোটরবাইক নিয়ে দুর্ঘটনায়ও পড়েছেন। তাঁর শরীরের হাড় ভেঙে গেছে
২৪ বছরের চেষ্টায় মিলল অপহৃত ছেলে
এমনকি মহাসড়কে চলার সময় পড়েছেন ডাকাতের কবলেও। এ রকম ছোটাছুটি করতে গিয়ে তাঁর ১০টি মোটরবাইক নষ্ট হয়ে গেছে।দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছুটে বেড়ানোর সময় নিখোঁজ সন্তানের কথা উল্লেখ করে ব্যানারও বহন করেছেন গানতাং। এতে ছেলের ছবিও লাগানো ছিল
২৪ বছরের চেষ্টায় মিলল অপহৃত ছেলে
রাতের বেলায় সেতুর নিচে ঘুমিয়েছেন। ভিক্ষা করে পাওয়া অর্থ দিয়ে খাবার কিনে খেয়েছেন। সূত্র : বিবিসি।
কালোমানিক লালচাঁদ বাবু পঙ্খিরাজ
কোরবানির পশুর হাটগুলোতে ক্রেতা টানতে বাহারি নাম দেওয়া হচ্ছে গরুর। বিচিত্র স্বভাব, খাদ্যাভ্যাস আর বেশি ওজনের কারণে এসব গরু এমনিতেই ক্রেতা-দর্শনার্থীদের দৃষ্টি কাড়ে। তবে সেই আকর্ষণ আরো বহুগুণ বাড়িয়ে দিতে গরুগুলোকে বাহারি নাম দিয়েছেন গরুর মালিকরা। গতকাল রবিবার রাজধানীর বিভিন্ন হাট ঘুরে দেখা মেলে এমনই কিছু বাহারি নাম আর বিচিত্র স্বভাবের গরুর
কালোমানিক লালচাঁদ বাবু পঙ্খিরাজ
‘কথা’ বলা বন্ধ করে দিয়েছে কালোমানিকখামারে থাকার সময় দিব্যি মালিকের কথা শুনত কালোমানিক। ঘাড় নেড়ে সেই সায়ও দিত। তবে গত শুক্রবার পাবনার সাঁথিয়া থেকে মোহাম্মদপুর-বসিলা হাটে নিয়ে আসার পরই মেজাজ খারাপ কালোমানিকের। মালিক আবুল কালাম আজাদ জানালেন, রাগে মাথা খারাপ হয়ে গেছে কালোমানিকের, এত মানুষ পছন্দ করছে না সে
কালোমানিক লালচাঁদ বাবু পঙ্খিরাজ
আগে কথা বুঝত এবং কথার ‘উত্তর’ দিত মাথা নেড়ে। তবে এখন দিচ্ছে না।কালোমানিক দেশি-অস্ট্রেলিয়ান ক্রসের গরু। সাড়ে তিন বছর বয়সী মানিকের দাঁত দুটি
কালোমানিক লালচাঁদ বাবু পঙ্খিরাজ
২২ মণ ওজনের কালোমানিকের প্রিয় খাবার মিষ্টিকুমড়া, খড় ও কাঁচা ঘাস। কোরবানি উপলক্ষে গরুটির দাম চাওয়া হচ্ছে ১০ লাখ টাকা।‘মেসি’ রোজ এক কেজি সাগু খায়কপালে বাহারি টায়রা আর গলায় সাদা মালা পরা ‘মেসি’ সহজেই দৃষ্টি কাড়ে ক্রেতা ও দর্শনার্থীদের। গতকালও এই নজরকাড়া সাজে বসিলা হাটের প্রবেশমুখে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় গরুটিকে
কালোমানিক লালচাঁদ বাবু পঙ্খিরাজ
খুবই শান্ত স্বভাবের, কখনোই রাগে না। মালিকের কথায় সাড়াও দেয়। চমক এখানেই শেষ নয়। অদ্ভুত খাদ্যাভ্যাসের জন্যও বিশেষভাবে পরিচিত গরুটি
কালোমানিক লালচাঁদ বাবু পঙ্খিরাজ
কুষ্টিয়া থেকে আসা এই গরুর বয়স সাড়ে তিন বছর। শুধু এই একটি গরু নিয়েই হাটে এসেছেন মালিক। ফ্রিজিয়ান জাতের এই গরুটির প্রিয় খাবার সাগু। রোজ এক কেজি করে রান্না করা সাগু খায়
কালোমানিক লালচাঁদ বাবু পঙ্খিরাজ
এ ছাড়া তার পাকা কলাও খুব প্রিয়। এর বাইরে আম, কাঁঠাল, পেঁপে, ছোলা ও মিষ্টিকুমড়া খেতে পছন্দ করে।গায়ে সাদা-কালো ছোপযুক্ত ‘মেসি’র ওজন এক হাজার কেজি। আসন্ন কোরবানি উপলক্ষে এর দাম হাঁকা হচ্ছে আট লাখ টাকা
কালোমানিক লালচাঁদ বাবু পঙ্খিরাজ
তবে মালিকের অভিযোগ, ‘বড় গরু বলে ক্রেতারা দেখতে এলেও অনেকেই সাহস করে দরদাম করে না। তিনি বলেন, তিন বছর আগে গরুটিকে তাঁর সঙ্গীসহ কিনেছিলাম। গত বছর ওর সঙ্গীকে বিক্রি করেছি। এ বছর ওকে বেচতে হাটে আনছি
কালোমানিক লালচাঁদ বাবু পঙ্খিরাজ
’একলা থাকতে পছন্দ করে পঙ্খিরাজকুষ্টিয়ার খামারি আবুল হোসেন ১২ হাজার টাকা ট্রাকভাড়া করে আফতাবনগর হাটে নিয়ে এসেছেন পঙ্খিরাজকে। জাতে অস্ট্রেলিয়ান হলেও এই গরুর জন্ম বাংলাদেশে। মনে করা হচ্ছে এটি এই হাটের সবচেয়ে বড় গরু। তিন বছর আগে ৮৫ হাজার টাকা দিয়ে পঙ্খিরাজকে কিনেছিলেন আবুল হোসেন
কালোমানিক লালচাঁদ বাবু পঙ্খিরাজ
এখন দাম চাচ্ছেন ২০ লাখ টাকা। পঙ্খিরাজের ওজন প্রায় দেড় হাজার কেজি। দাঁত ছয়টি। মালিক জানালেন ভীষণ শান্ত স্বভাবের গরু পঙ্খিরাজ
কালোমানিক লালচাঁদ বাবু পঙ্খিরাজ
একলা থাকতে পছন্দ করে।গায়ে হাত বুলালে খুশি হয় লালচাঁদ বাবুটকটকে দুটি লাল শিঙের কারণেই ছোটবেলায় তার নাম রাখা হয়েছিল লালচাঁদ বাবু। তবে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শিং দুটির রং কিছুটা ফিকে হয়ে যায়। ফলে মালিক কিছুটা বাড়তি রং লাগিয়ে দিয়েছেন বাবুর শিং দুটিতে
কালোমানিক লালচাঁদ বাবু পঙ্খিরাজ
এক হাজার কেজি ওজনের এই গরুটি রাজধানীর মোহাম্মদপুর-বসিলা হাটে নিয়ে এসেছেন মেহেরপুরের খামারি রবিউল ইসলাম। আড়াই বছর বয়সে তিনি লালচাঁদ বাবুকে কেনেন। এখন বাবুর বয়স সাড়ে চার বছর। দাম হাঁকা হচ্ছে ১০ লাখ টাকা
কালোমানিক লালচাঁদ বাবু পঙ্খিরাজ
ভাত, ডিম, পাউরুটি তার প্রিয় খাবার। কেউ কাছে গিয়ে গায়ে হাত বুলালে খুশি হয় লালচাঁদ বাবু।কালাপাহাড়ের সঙ্গে বিশেষ উপহারচকচকে কালো নাদুস-নুদুস ষাঁড়টি ঘিরে মোহাম্মদপুর-বসিলা হাটের মাঝে দাঁড়িয়ে চার-পাঁচজন লোক। কারণ একটাই, সুযোগ পেলেই ছুটে পালায় কালাপাহাড়
কালোমানিক লালচাঁদ বাবু পঙ্খিরাজ
তবে গোসল করতে ভীষণ ভালোবাসে সে। মালিক জানালেন, কালাপাহাড় একটু চঞ্চল স্বভাবের। নতুন লোক দেখলে রেগে যায়। যদিও মালিককে দেখলেই ঠাণ্ডা সে
কালোমানিক লালচাঁদ বাবু পঙ্খিরাজ
কালাপাহাড়ের দাম চাওয়া হচ্ছে ১০ লাখ টাকা। সঙ্গে আছে বিশেষ উপহার। মালিকের ঘোষণা, কালাপাহাড়কে কিনলে সঙ্গে বড় খাসি ফ্রি দেবেন তিনি।
দেশে ই-কমার্সের ভবিষ্যৎ
আমাদের দেশে একটি বড় সমস্যা হলো সব দিক আটঘাট বেঁধে মানসম্পন্ন সব নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা নিশ্চিত না করেই নতুন কোনো কিছু শুরু করে দেওয়া হয়। ফলে পরিণতি যা হওয়ার তা-ই হয়। কিছুদিন যেতে না যেতেই বড় ধরনের কোনো সমস্যা দেখা দেয় এবং শুরু হয়ে যায় হৈচৈ। সেই সঙ্গে নতুনভাবে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা
দেশে ই-কমার্সের ভবিষ্যৎ
কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে যায়। ফলে অনেক চেষ্টা করেও সুশৃঙ্খল ব্যবস্থা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল চালু করা, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, বেসরকারি হাসপাতাল বা ক্লিনিক প্রতিষ্ঠা, মোবাইল ফোন এমনকি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম অবারিত করাসহ সর্বক্ষেত্রে একই অবস্থা লক্ষ করা গেছে। কঠোর নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত না করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম উন্মুক্ত করে দেওয়ার পরিণতি যে কতটা ভয়ংকর হতে পারে তা বাংলাদেশ ভালোভাবেই বুঝতে পেরেছে, এখনো পারছে এবং ভবিষ্যতেও পারবে
দেশে ই-কমার্সের ভবিষ্যৎ
এখন শত চেষ্টা করেও এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়। কেননা নতুন কিছু শুরুর আগে যতটা প্রয়োজন ততটাই নিয়ন্ত্রণ করা যায়। কিন্তু একবার মানুষ অনিয়ন্ত্রিত সেবায় অভ্যস্ত হয়ে গেলে তা আর সহজে নিয়ন্ত্রণে আনা যায় না। একইভাবে কোনো রকম পরিচয়পত্র বা আইডি প্রদানের বাধ্যবাধকতা নিশ্চিত না করেই মোবাইল ফোনের প্রচলন চালু এবং সহজলভ্য করা হয়েছে
দেশে ই-কমার্সের ভবিষ্যৎ
ফলে নামে-বেনামে একাধিক সিম নিয়ে সেসব মোবাইল দিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডসহ ক্ষতিকর সব অপকর্ম করা হয়েছে, যা নিয়ন্ত্রণ করতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীকে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়েছে। পরবর্তী সময়ে সব মোবাইল ব্যবহারকারীর পরিচয়পত্র বা আইডি নিশ্চিত করতেও বেশ বেগ পেতে হয়েছে।প্রয়োজনীয় সব নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত না করে নতুন ব্যবস্থা প্রবর্তনের সর্বশেষ দৃষ্টান্ত দেশে ই-কমার্স চালু করা এবং সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে আলোচিত ইভ্যালি কেলেঙ্কারি হচ্ছে তার সবচেয়ে বড় অঘটন। সংবাদমাধ্যমে জানা যায়, এই অনলাইন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানটি গ্রাহকদের কাছ থেকে ২১৪ কোটি অগ্রিম গ্রহণ করেছে, কিন্তু এর বিপরীতে পণ্য সরবরাহ করেনি
দেশে ই-কমার্সের ভবিষ্যৎ
অর্থাৎ গ্রাহকরা অনলাইনে ২১৪ কোটি টাকার অর্ডার দিয়ে অর্থ পরিশোধ করলেও পণ্যসামগ্রী এখনো বুঝে পায়নি। শুধু তা-ই নয়, বাংলাদেশ ব্যাংকের বরাত দিয়ে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে যে এই কম্পানির মোট দায় ৪০৭.১৮ কোটি টাকা, যার মধ্যে গ্রাহকদের কাছ থেকে অগ্রিম নেওয়া অর্থের পরিমাণ ২১৩.৯৪ কোটি টাকা এবং বিভিন্ন মার্চেন্টের কাছ থেকে বাকিতে পণ্যসামগ্রী ক্রয় করা অর্থের পরিমাণ ১৮৯.৮৫ কোটি টাকা। কিন্তু কম্পানির কাছে আছে মাত্র ৬৫.১৭ কোটি টাকা। অর্থাৎ এই কম্পানির দেউলিয়া হতে আর বাকি নেই
দেশে ই-কমার্সের ভবিষ্যৎ
এই ঘটনার কারণে গ্রাহকরা তো ক্ষতিগ্রস্ত হবেই, সেই সঙ্গে দেশের ই-কমার্স খাতও বড় ধরনের একটা ধাক্কা খাবে।ই-কমার্স বা অনলাইন ব্যবসার যে দুটি ন্যূনতম শর্ত রয়েছে তা এখানে মেনে চলতে আদৌ বাধ্য করা হয়নি। আর এই দুটি শর্ত হলো পণ্য ফেরত পলিসি এবং অর্থ পরিশোধ পলিসি। ডিজিটাল কমার্স পরিচালনা নির্দেশিকা ২০২১-এর ৩.৩.২ অনুযায়ী ক্রেতা-বিক্রেতা একই শহরে অবস্থিত হলে সম্পূর্ণ মূল্য পরিশোধের পাঁচ দিনের মধ্যে পণ্য সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে
দেশে ই-কমার্সের ভবিষ্যৎ
অথচ অনলাইন ব্যবসা বা ই-কমার্সের ক্ষেত্রে এই শর্তটি এতটা গুরুত্বপূর্ণ নয়, যতটা গুরুত্বপূর্ণ ক্রয় করা পণ্যসামগ্রী ফেরত দেওয়ার বাধ্যবাধকতা এবং অর্থ পরিশোধের শর্ত। অনলাইনে কোনো কিছু অর্ডার দেওয়ার সময় উল্লেখ থাকে যে ডেলিভারি কবে নাগাদ হতে পারে। সেই বুঝেই একজন ক্রেতা অর্ডার দেবেন। যেমন—অর্ডার দেওয়া পণ্য যদি ডেলিভারির জন্য মজুদ না থাকে এবং সে ক্ষেত্রে যদি সরবরাহকারীর কাছ থেকে ডেলিভারি দিতে হয়, তাহলে এই পাঁচ দিনের শর্ত মেনে চলা মোটেই সম্ভব নয়
দেশে ই-কমার্সের ভবিষ্যৎ
আমি আমাজনে বাংলাদেশের একটি বই অর্ডার দিতে গিয়ে দেখি ডেলিভারি দিতে দেড় থেকে দুই মাস সময় লাগবে, তাই আর অর্ডারটি প্লেস করিনি।ই-কমার্সের বা অনলাইন ব্যবসার ক্ষেত্রে অর্থ পরিশোধের পদ্ধতিটি সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কখন ক্রেতার হিসাব থেকে অর্থ নেওয়া হবে সেটি সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যেহেতু ই-কমার্স বা অনলাইন ব্যবসা একটি প্ল্যাটফর্ম মাত্র
দেশে ই-কমার্সের ভবিষ্যৎ
এই প্রতিষ্ঠানের বিক্রীত পণ্য যে সব সময় তাদের নিজস্ব গুদাম থেকে যাবে তেমন কোনো কথা নেই। তাদের অনুমোদিত সরবরাহকারীর কাছ থেকেও সরাসরি ক্রেতার কাছে চলে যেতে পারে। ই-কমার্স বা অনলাইন ব্যবসার ক্ষেত্রে ঠিকমতো মূল্য পাওয়া এবং যথাসময়ে পণ্যসামগ্রী বুঝে পাওয়া—এই দুইয়ের মধ্যে এক ধরনের অনিশ্চয়তা সব সময়ই থাকে। তা ছাড়া এই প্ল্যাটফর্মে কেনাকাটা নগদে করা যায় না
দেশে ই-কমার্সের ভবিষ্যৎ
এ জন্য প্রয়োজন হয় ডেবিট অথবা ক্রেডিট কার্ডের। তাই ক্রেতা এবং বিক্রেতার অনিশ্চয়তা দূর করার জন্য এমন ব্যবস্থার প্রবর্তন করা হয়েছে, যেখানে ক্রেতা অনলাইনে অর্ডার দেওয়ার সময় তাঁর ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ডের নম্বর প্রদান করবেন; কিন্তু সেই কার্ড থেকে তাত্ক্ষণিক অর্থ নেওয়া হবে না। অর্ডার দেওয়া পণ্যসামগ্রী ডেলিভারির উদ্দেশ্যে শিপমেন্ট হওয়ার পরই ক্রেতার দেওয়া ডেবিট অথবা ক্রেডিট কার্ড চার্জ করে পণ্যের মূল্য আদায় করা হয়। এখানে অগ্রিম অর্থ গ্রহণের কোনো সুযোগ নেই
দেশে ই-কমার্সের ভবিষ্যৎ
উন্নত বিশ্বের ই-কমার্স বা অনলাইন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান নিজেরাই এই পদ্ধতি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে মেনে চলে। যে কারণে ব্যাংক বা তৃতীয় কোনো পক্ষের শিপমেন্ট নোটিফিকেশন ভেরিফাই করে পেমেন্ট প্রসেস করার প্রয়োজন পড়ে না। আমাদের দেশে যেহেতু ই-কমার্স বা অনলাইন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান এই পদ্ধতি মেনে চলার ক্ষেত্রে ব্যত্যয় ঘটাতে পারে, তাই তাদের পেমেন্ট প্রসেস করার দায়িত্বটি ব্যাংক বা তৃতীয় কোনো পক্ষের ওপর ন্যস্ত করা যেতে পারে, যারা শুধু শিপমেন্ট নোটিফিকেশন পাওয়ার পরই সেই অর্ডারের পেমেন্ট প্রসেস করবে। আর এটা নিশ্চিত করা গেলে অনলাইনে অর্ডার দিয়ে মূল্য পরিশোধের পরও পণ্যসামগ্রী না পাওয়ার ঝুঁকি অনেকাংশে কমে আসবে
দেশে ই-কমার্সের ভবিষ্যৎ
ই-কমার্স বা অনলাইন কেনাকাটার সময় ক্রেতা সশরীরে গিয়ে জিনিসপত্র ক্রয় করে না। অনলাইন পোর্টালে দেওয়া ছবি এবং পণ্যের বর্ণনা দেখেই ক্রয় অর্ডার দিতে হয়। সে কারণে ক্রেতা যদি ডেলিভারি পাওয়ার পর সন্তুষ্ট না হয় সে ক্ষেত্রে বিনা বাক্যে এবং খুব সহজে ক্রয় করা পণ্য ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা অনলাইন কেনাকাটা বা ই-কমার্সের অন্যতম পূর্বশর্ত। ই-কমার্স বা অনলাইন ব্যবসা জনপ্রিয় করে তুলতে হলে প্রতিটা ই-কমার্স বা অনলাইন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানকে এই সহজ শর্তের রিটার্ন পলিসি মেনে চলতে বাধ্য করতে হবে
দেশে ই-কমার্সের ভবিষ্যৎ
এই ই-কমার্স বা অনলাইন ব্যবসা উন্নত বিশ্বের যেমন জনপ্রিয়, তেমনই সফল। এবং সেসব উন্নত দেশের ধারণা নিয়েই আমাদের দেশে এই ই-কমার্স বা অনলাইন ব্যবসা চালু করা হয়েছে। তাই উন্নত দেশে যেসব শর্ত এবং মানদণ্ড মেনে এই ই-কমার্স বা অনলাইন ব্যবসা জনপ্রিয় এবং সফল হয়েছে, সেগুলো আমাদের দেশেও যথাযথভাবে মেনে চলতে হবে, অন্যথায় ইভ্যালির মতো অঘটন ঘটতেই থাকবে।দেশে ই-কমার্স যাত্রা শুরু করতে না করতেই ইভ্যালি কেলেঙ্কারি দেশের ই-কমার্সের ভবিষ্যৎ নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে
দেশে ই-কমার্সের ভবিষ্যৎ
অথচ ই-কমার্স বা অনলাইন শপিং এখন এক নতুন বাস্তবতা। আমরা স্বীকার করি বা না করি আগামী দশকের ব্যবসা-বাণিজ্য যে যথেষ্টই অনলাইননির্ভর হবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। এমনকি উন্নত বিশ্বের অনলাইন ব্যবসা সর্বোচ্চ পর্যায় পৌঁছে যাওয়ায় বিশ্বের বিশাল বিশাল অনলাইন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান যেমন আমাজন, ওয়ালমার্ট এখন উন্নয়নশীল দেশগুলোর দিকে তাদের ব্যবসা সম্প্রসারিত করেছে। ভারতে তো এসব কম্পানি এরই মধ্যে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করে বসে আছে
দেশে ই-কমার্সের ভবিষ্যৎ
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নতি এবং জনসংখ্যার কারণে তাদের দৃষ্টি যে আমাদের দেশের দিকেও আছে তা মোটামুটি নিশ্চিত করেই বলা যায়। এ রকম অবস্থায় ইভ্যালি কেলেঙ্কারি আমাদের দেশের ই-কমার্স বা অনলাইন ব্যবসার ভবিষ্যতের জন্য মোটেই ভালো খবর নয়। তাই এ ব্যাপারে এখনই উপযুক্ত পদক্ষেপ নিয়ে দেশের ই-কমার্স বা অনলাইন ব্যবসাকে কঠোর নিয়ম, তদারকি এবং জবাবদিহির মধ্যে নিয়ে আসতে হবে, যাতে আর কোনো ইভ্যালি কেলেঙ্কারির ঘটনা না ঘটে এবং দেশে সুশৃঙ্খল এবং সুনিয়ন্ত্রিত ই-কমার্স বা অনলাইন ব্যবসার ক্ষেত্র অবারিত হয়।লেখক : ব্যাংকার, টরন্টো, কানাডা[email protected]
সন্ত্রাসের বলি হয় সাধারণ মানুষ
ওরা ফেরিওয়ালা। কলকাতার রাস্তায় রাস্তায় হরেক জিনিস ওরা ফেরি করে বেড়াত। কিন্তু তলে তলে ওরা চালিয়ে যেত ‘রেকি’। মানেটা কী? মানে হলো ওরা সমস্ত এলাকার বিভিন্ন অন্ধিসন্ধি জেনে নিত
সন্ত্রাসের বলি হয় সাধারণ মানুষ
সেই সঙ্গে সমানে চালিয়ে যেত তহবিল সংগ্রহ। নিজেদের জঙ্গি সংগঠনের জন্য সদস্য সংগ্রহ। কিছুদিন আগে কলকাতা শহর থেকে জামা’আতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ বা জেএমবির তিন জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করার পর এমনটাই দাবি করেছে কলকাতা পুলিশ। পুলিশ কী জানাচ্ছে? দুপুর ২টা নাগাদ হরিদেবপুর থানার এমজি রোড সংলগ্ন এলাকা থেকে তিন জেএমবি জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করে কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্কফোর্স বা এসটিএফ জানতে পেরেছে যে ধৃতদের নাম হচ্ছে নাজিউল রহমান ওরফে জয়রাম বেপারি, রবিউল ইসলাম ও মিকাইল খান
সন্ত্রাসের বলি হয় সাধারণ মানুষ
তিনজনেরই বাড়ি ঘটনাচক্রে বাংলাদেশের গোপালগঞ্জ জেলায়। ধৃতদের থেকে একটা হাতে লেখা ডায়েরি, একটা মোবাইল ফোন, বেশ কিছু জিহাদি নথিপত্র উদ্ধার হয়েছে। জানা যাচ্ছে যে এই লোকেরা জঙ্গিদের সাহায্য করত। মূলত তহবিল এবং সদস্য সংগ্রহ করত
সন্ত্রাসের বলি হয় সাধারণ মানুষ
কিন্তু এই ক্ষুদ্র ঘটনা তার বৃহৎ প্রেক্ষাপট নিয়ে আজ আমরা আলোচনা করতে চাইছি। প্রেক্ষাপট হলো, আফগানিস্তানে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার। সেখানে তালেবানি জঙ্গিদের নবকলেবরে বিকাশ। আফগানিস্তানে সরকার গঠনের চেষ্টা
সন্ত্রাসের বলি হয় সাধারণ মানুষ
পাকিস্তান তলে তলে সেই মৌলবাদী তালেবানি শক্তির উত্থানের সহায়ক। পাকিস্তান ভাবছে অতীতে যেমন একটা সময় ছিল যখন তালেবান সরকার আফগানিস্তানে পাকিস্তানই কার্যত নিয়ন্ত্রণ করত। এমনকি পাকিস্তানের বাজেটে তালেবানদের জন্য অর্থ বরাদ্দ করা হতো। তালেবান সরকারের উন্নয়নের জন্য বাজেটে আনুষ্ঠানিকভাবে সেই টাকার অঙ্কটাও দেখানো হতো
সন্ত্রাসের বলি হয় সাধারণ মানুষ
আজ এত দিন পর যখন আবার এই উপমহাদেশে জঙ্গি তৎপরতা বাড়ছে, সেই তৎপরতা বৃদ্ধির বিষয়টা নিয়ে দুই সপ্তাহ আগেই আমি লিখেছিলাম। কিন্তু দেখা যাচ্ছে সেই জঙ্গি তৎপরতা আগে যেভাবে আফগানিস্তান থেকে পাকিস্তান মদদপুষ্ট, সেই তালেবানি জঙ্গিরা জইশ-ই-মোহাম্মদ, লস্কর-ই-তৈয়বা থেকে শুরু করে তালেবানের বিভিন্ন গোষ্ঠীর জঙ্গিরা প্রথমে পাকিস্তান হয়ে, বাংলাদেশে হয়ে, পূর্ব উপকূলবর্তী এলাকা দিয়ে কলকাতায় ঢুকত এবং কলকাতা থেকে দিল্লি হয়ে ক্রমেই ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ত। এখন আবার নতুন করে তারা রুট বদলাচ্ছে। এবারে জঙ্গিরা বাংলাদেশে না গিয়ে প্রথমে ভারতে ঢুকছে
সন্ত্রাসের বলি হয় সাধারণ মানুষ
বাংলাদেশে যেহেতু নজরদারি অনেক বেড়ে গেছে, শেখ হাসিনার সরকারের তৎপরতা অনেক বেড়ে গেছে। সুতরাং এখন অনেক সহজ হচ্ছে পাঞ্জাব সীমান্ত দিয়ে, এমনকি গুজরাটের কচ্ছ সীমান্ত দিয়ে পাকিস্তানি জঙ্গিরা ঢুকছে। সেখানে থেকে বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়ছে। জঙ্গিদের কেন এই রুট বদল প্রথমে সেটা বোঝা প্রয়োজন
সন্ত্রাসের বলি হয় সাধারণ মানুষ
মনে করা যেতে পারে যে যখন নব্বইয়ের দশকে মুম্বাই বিস্ফোরণ হয়েছিল। তারপর দাউদ ইবরাহিম পাকিস্তানে পালিয়ে গেল, তখন ভারতীয় গোয়েন্দারা পশ্চিম উপকূলবর্তী এলাকায় বিরাটভাবে সন্ত্রাস দমন, জঙ্গি দমনের জন্য তৎপর হয়ে ওঠে। জঙ্গি ধরার জন্য জাল বিছিয়ে ফেলে সেই সময় আইএসআই, পাকিস্তানি গোয়েন্দা বাহিনী রণকৌশল বদলায়। পশ্চিম উপকূলবর্তী এলাকা দিয়ে জঙ্গি অনুপ্রবেশ না করে তারা পূর্ব উপকূলবর্তী এলাকায় রুটটা পরিবর্তন করেছিল
সন্ত্রাসের বলি হয় সাধারণ মানুষ
এটা এই জন্য করেছিল যে যেহেতু ভারতীয় গোয়েন্দারা পশ্চিম উপকূলে তৎপর, পূর্ব উপকূলে তৎপর নয়। সুতরাং পূর্ব উপকূল দিয়ে তাদের ঢোকাটা সহজ হবে। এটা ভেবে তারা তখন পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশে, বাংলাদেশ থেকে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের যে রাজ্য সেই রাজ্যগুলোতে তৎপর হয়ে ওঠে। এমনকি উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোতে আলফা বা অন্য যেসব জঙ্গি বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন ছিল সেগুলোকে অর্থকরী মদদ দিয়ে পাকিস্তান গোয়েন্দা বাহিনী একটা ছাতা ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোর মধ্যে তৈরি করতে সচেষ্ট হয়েছিল
সন্ত্রাসের বলি হয় সাধারণ মানুষ
এরপর দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে উত্তর-পূর্বাঞ্চল এলাকায়, পূর্ব ভারতে এবং বাংলাদেশে যৌথভাবে একটা গোয়েন্দা তথ্য সমন্বয় হয়। সবচেয়ে বড় কথা হলো, শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর কোনোভাবেই জঙ্গি তৎপরতাকে প্রশ্রয় দেননি, গ্রেপ্তার করেছেন, ভারতের হাতে বেশ কিছু জঙ্গিকে তুলে ধরেছেন। তিনি সুনিপুণভাবে ইসলাম এবং জঙ্গিবাদকে বিচ্ছিন্নভাবে দেখার চেষ্টা করেছেন।কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা জারি করার পর প্রশাসনের তৎপরতা ছিল
সন্ত্রাসের বলি হয় সাধারণ মানুষ
ভয়াবহ সেনা তৎপরতা ছিল। তার ফলে দীর্ঘদিন জঙ্গিরা কিছু করতে পারেনি। কিন্তু ক্রমেই দেখা যাচ্ছে সেখানেও কিন্তু আবার নতুন করে আইএসআইএস মডিউল তৈরি হচ্ছে। আইএসের নতুন মডিউলের সন্ধান পাওয়া গেছে শ্রীনগরের অনন্তনাগ, অবন্তিপোড়া, বারামুলাসহ বিভিন্ন জায়গায়
সন্ত্রাসের বলি হয় সাধারণ মানুষ
সেখানে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ৯ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো এনআইএ এবং গুপ্তচর সংস্থা একযোগে কাজ করছে। সেখানে আইএসএর খোরাসান শাখার দায়িত্বে থাকা পাকিস্তানি জঙ্গি হুজাইফা আল বাকিস্তানি একটি ডিজিটাল পত্রিকা প্রকাশ করতেন
সন্ত্রাসের বলি হয় সাধারণ মানুষ
তার মাধ্যমে অনলাইনে মৌলবাদের প্রচারও চালাত আইএস। গোয়েন্দাদের দাবি যে হুজাইফার স্ত্রী কাশ্মীরি। তিনি শ্রীনগরের বাসিন্দা আইজাজ আহমেদ আহেঙ্গারের মেয়ে। ২০১৯ সালে আফগানিস্তানের নানগড়হর প্রদেশে আমেরিকার ড্রোন হামলায় নিহত হয় হুজাইফ
সন্ত্রাসের বলি হয় সাধারণ মানুষ
সম্প্রতি আইএসের সদস্য হওয়ার অভিযোগে আইজাজকেও গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা বাহিনী। হুজাইফার মৃত্যুর পর ডিজিটাল ম্যাগাজিনটা বন্ধ ছিল। সেটা আবার চালু হয়েছে। গত বছরের মার্চ মাসে দিল্লি থেকে জাহানজেব সামিওয়ানি ও তার স্ত্রী হিনা বসিরবেককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ
সন্ত্রাসের বলি হয় সাধারণ মানুষ
তাদের অভিযোগ জাহানজেব এবং হিনা আইএসের খোরাসান শাখার সদস্য। নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলনের সময় তারা মৌলবাদের প্রচার চালিয়ে ছিল। জাহানজেব এবং হিনা একসময় মালয়েশিয়ায় থাকত। তাদের সঙ্গে ভারত তথা বিশ্বের নানা প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা আইএস সদস্যদের যোগাযোগ ছিল এবং তারাই ওই ডিজিটাল ম্যাগাজিনটা চালাচ্ছিল
সন্ত্রাসের বলি হয় সাধারণ মানুষ
আমেরিকান গোয়েন্দারাও এখন এই ব্যাপারে ভারতকে সাহায্য করছে। এবং এই কাশিম খোরাসানির ব্যাপারে আমেরিকান গোয়েন্দারা বলছেন, ওই ব্যক্তি ডাবল ভিপিএন ব্যবহার করতেন। তাই তাঁর অবস্থান কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বদলে যাচ্ছে।শেষ পর্যন্ত জানা যাচ্ছে যে দক্ষিণ কাশ্মীরের আছাওয়াল থেকে ম্যাগাজিনটা চালাচ্ছে উমর বাট ওরফে হাবিব উমর নিসার
সন্ত্রাসের বলি হয় সাধারণ মানুষ
কাশ্মীরের এই ঘটনাটির মাধ্যমে বোঝা যাচ্ছে যে ভারতের কাশ্মীর থেকে এমনকি দক্ষিণ ভারত পর্যন্ত আবার জঙ্গি তৎপরতা শুরু হয়েছে। এবং তারা বাংলাদেশের বদলে ভারতে ঢুকে ভারত থেকে আবার বাংলাদেশে গিয়ে সেখানেও নানা ধরনের বিস্ফোরণ এবং আইএসআই কার্যকলাপ করার চেষ্টা চলছে। বাংলাদেশেও বিচ্ছিন্নভাবে জঙ্গি তৎপরতা বাড়ছে। প্রশ্ন হচ্ছে যে ভারত থেকে বাংলাদেশে এসে জঙ্গি সন্ত্রাস করার উদ্দেশ্যটা কী?বাংলাদেশের যে জিওস্ট্র্যাটেজিক গুরুত্ব যেটা আমি বারবার বিভিন্ন লেখায় লিখেছি
সন্ত্রাসের বলি হয় সাধারণ মানুষ
যখন চীন, রাশিয়া ও পাকিস্তান অক্ষ তৈরি হয়েছে, ভারতের ওপর চাপ সৃষ্টি হচ্ছে তখন বাংলাদেশ নানা সমস্যার মধ্যে পীড়িত থাকা সত্ত্বেও ভারতের বন্ধু হিসেবে থেকেছে। সুতরাং সেই বাংলাদেশকে যদি ভারতের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করতে হয়, সেই বাংলাদেশকে যদি প্রবল চাপের মধ্যে রাখতে হয়, সেই বাংলাদেশের যে অর্থনৈতিক অগ্রগতি হচ্ছে, যেটা পাকিস্তানের কাছে একটা ঈর্ষার বিষয়, সেই অর্থনীতিকে যদি বিপর্যস্ত করতে হয়, বাংলাদেশের বিকাশকে প্রতিহত করতে হয়। আয়তনে ছোট হলেও বাংলাদেশকে নানাভাবে সন্ত্রাসের শিকার করাটা এই মুহূর্তে পাকিস্তানি তালেবানি জঙ্গিগোষ্ঠীর উদ্দেশ্য। চাপের মধ্যে পড়ে যাতে বাংলাদেশ সরকার ফোঁস করতে বাধ্য হয়
সন্ত্রাসের বলি হয় সাধারণ মানুষ
সেটাই হচ্ছে সব থেকে বড় লক্ষ্য। আশার কথা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তাঁর সরকার এই ষড়যন্ত্রের ব্যাপারে অবগত। কিন্তু শুধু সরকার বা প্রধানমন্ত্রী নন—এই ব্যাপারে মানুষকে সচেতন হতে হবে। বাংলাদেশ এবং ভারতের এই দুই দেশের মানুষকে এ ব্যাপারে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে
সন্ত্রাসের বলি হয় সাধারণ মানুষ
ঐকমত্যের ভিত্তিতে ভাবতে হবে যে ‘সন্ত্রাস’ ভারতের সন্ত্রাস, বাংলাদেশের সন্ত্রাস, আমেরিকার সন্ত্রাস বলে কিছু হয় না। বিন লাদেন যখন আমেরিকায় সন্ত্রাস করেন তখন আমেরিকা এ ব্যাপারে তৎপর হয়ে যায়। পাকিস্তানের পশ্চিম প্রান্তে মার্কিন সেনাবাহিনীর তৎপরতা তখন লক্ষ করা যায়। কিন্তু সেই পাকিস্তানই যখন কাশ্মীরে জঙ্গি তৎপরতা চালায় তখন আমেরিকার টনক নড়ে না
সন্ত্রাসের বলি হয় সাধারণ মানুষ
এই দ্বৈতনীতি কখনোই কাম্য নয়। ভারতকেও বাংলাদেশের ব্যাপারে একই রকম মনোভাব নিয়ে এগোতে হবে যে সেখানে ‘আমার সন্ত্রাস’, ‘তোমার সন্ত্রাস’ বলে কিছু হয় না। সন্ত্রাসের বলি হচ্ছি আমরা সবাই। সবচেয়ে বেশি বলি হয় সাধারণ মানুষ। সেই সন্ত্রাসের আবহ থেকে আমরা কিভাবে মুক্ত হব জানি না! কিন্তু চেষ্টা চালানো ছাড়া সভ্য মনুষ্য জাতির আর কী করার থাকতে পারে!লেখক : নয়াদিল্লিতে কালের কণ্ঠ’রবিশেষ প্রতিনিধি
সংক্রামক রোগের ধর্ম ভুলে গেলে চলবে না
করোনায় মৃত্যুর মিছিল দীর্ঘতর হচ্ছে। কয়েক দিন ধরেই দৈনিক গড়পড়তা মৃত্যু ২০০! অর্থনীতি স্থবির প্রায়। দারিদ্র্য বাড়ছে। সবচেয়ে বড় গ্যাঁড়াকলে পড়েছে মধ্যবিত্ত
সংক্রামক রোগের ধর্ম ভুলে গেলে চলবে না
সব সঞ্চয় খুইয়ে শুধু ইজ্জত নামক সম্পদটি আঁকড়ে ধরে বসে আছে। বলতে পারছে না। সইতেও পারছে না।গত সপ্তাহে শেষ হওয়া ‘কড়াকড়ি’র লকডাউনের মধ্যেও বাংলাদেশের মানুষ বেহুঁশের মতো ছুুটেছে
সংক্রামক রোগের ধর্ম ভুলে গেলে চলবে না
অনেকেই মাস্ক পরেনি। মানেনি বিধি-নিষেধ। জাপানি ভাষায় একে বলে ‘হারিকিরি’ বা আত্মহনন। বলা হয় নিরক্ষর ও গরিব বলে নাকি আমাদের দেশের এই অবস্থা