text
stringlengths 11
126k
| title
stringlengths 1
182
|
---|---|
পুনর্নির্দেশ বঙ্গরনরাজেশ্বর | Bangramanjeshwar |
পুনর্নির্দেশ বড়ওয়ানি | Barwani |
পুনর্নির্দেশ বীরুর | Birur |
পুনর্নির্দেশ বেলগাম | Belgaum |
পুনর্নির্দেশ ভাবুয়া | Bhabua |
পুনর্নির্দেশ মট্টনূর | Mattannur |
পুনর্নির্দেশ মাণ্ড্য | Mandya |
পুনর্নির্দেশ মূড়িগেরে | Mudigere |
পুনর্নির্দেশ মুলবুঘাট | Mulavukad |
পুনর্নির্দেশ যাদগিরি | Yadgir |
পুনর্নির্দেশ রাণীবেন্নুর | Ranibennur |
পুনর্নির্দেশ শাহাবাদ, গুলবার্গা | Shahabad |
পুনর্নির্দেশ শৃঙ্গেরি | Sringeri |
পুনর্নির্দেশ সিমন দ্য বোভোয়ার | Simone de Beauvoir |
পুনর্নির্দেশ সোনপুর | Sonepur |
পুনর্নির্দেশ হাসান | Hassan |
পুনর্নির্দেশ হেব্বগোড়ি | Hebbagodi |
পুনর্নির্দেশ বাইকম | Vaikom |
পুনর্নির্দেশ আঠমল্লিক | Athmallik |
পুনর্নির্দেশ অজয়গড় | Ajaigarh |
পুনর্নির্দেশ আর্কলগুড়ু | Arkalgud |
পুনর্নির্দেশ ইরিঞ্জালকুটা | Irinjalakuda |
পুনর্নির্দেশ এলয়াবুর | Elayavoor |
পুনর্নির্দেশ কণ্ণুর | Kannur |
পুনর্নির্দেশ কাঞ্জনগড় | Kanhangad |
পুনর্নির্দেশ কিশানগঞ্জ | Kishanganj |
পুনর্নির্দেশ কুরীঘাট | Kureekkad |
পুনর্নির্দেশ কোটেকরা | Kotekara |
পুনর্নির্দেশ কোরট্টি | Koratty |
পুনর্নির্দেশ শ্রীগঙ্গানগর | Ganganagar |
পুনর্নির্দেশ গুলবর্গা | Gulbarga |
পুনর্নির্দেশ চান্নগিরি | Channagiri |
পুনর্নির্দেশ চিতোরগড় | Chittaurgarh |
পুনর্নির্দেশ চের্তলা | Cherthala |
পুনর্নির্দেশ জাতিসংঘের সদস্যরাষ্ট্রসমূহ | United Nations member states |
thumb|250px|right|23px ১৯৫৮-১৯৬১ ও ১৯৮০-বর্তমান পর্যন্ত ব্যবহার করা পতাকা।অনুপাত: ২:৩
right|thumb|180px|বিভিন্ন সময়ে সিরিয়ার পতাকা: ১৯৩২, ১৯৫৮, ১৯৬১, ১৯৬৩, ১৯৭১, ও ১৯৮০ সালে চালু হওয়া পতাকা
সিরিয়ার বর্তমান জাতীয় পতাকাটি ১৯৮০ সাল হতে প্রবর্তিত হয়। এটি অধুনালুপ্ত সংযুক্ত আরব প্রজাতন্ত্র এর পতাকা ছিলো।
ইতিহাস
বিভিন্ন সময়ে সিরিয়া মোট ৬ বার জাতীয় পতাকা প্রবর্তন করে। অবশ্য ৬ বারে ৬টি আলাদা নয়, বরং ৪টি ভিন্ন নকশার পতাকা ব্যবহার করা হয়।
সিরিয়ার প্রথম জাতীয় পতাকা ১৯২০ সালে চালু হয়। এটি জর্ডানের জাতীয় পতাকার সাদা ও সবুজ অংশ দুটির অবস্থান পাল্টে তৈরি করা হয়। বর্ণ ও নকশা নেয়া হয়ে ছিলো নিখিল-আরব পতাকা হতে। তারকা গুলি নির্দেশ করছিলো যে, সিরিয়া প্যান আরব বর্ণ ব্যবহারকারী প্রথম দেশ। ফরাসিরা যখন সিরিয়া অধিকার করে নিজেদের ম্যান্ডেট বা শাসনে রাখে, তখন এর পতাকা হিসাবে নীল রঙের একটি পতাকা চালু হয়। এর কেন্দ্রে একটি সাদা বৃত্ত, এবং কোনায় একটি ফরাসি পতাকা ছিল। এক মাস পরে পতাকাটি পাল্টে সবুজ-সাদা-সবুজ বর্ণের অনুভূমিক তিনটি অংশ বিশিষ্ট পতাকা প্রবর্তিত হয়, যার পার্শ্বে ফরাসি তেরঙ্গা পতাকা ছিল। এই পতাকাটি ১৯২৫ হতে ১৯৩৬ সাল পর্যন্ত ব্যবহার করা হয়।
এর পর পতাকাটি সবুজ, সাদা, কালো বর্ণের অনুভূমিক অংশ বিশিষ্ট নকশায় পাল্টে নেয়া হয়। এর কেন্দ্রের সাদা অংশে তিনটি লাল রঙের পাঁচ কোনা তারকা ছিলো। ফরাসি-সিরীয় চুক্তির মাধ্যমে সিরিয়া আংশিক স্বাধীনতা অর্জনের পর এই পতাকাটি চালু হয়।
১৯৪৪ সালে সিরিয়া পূর্ণ স্বাধীনতা অর্জনের পরে সবুজ-সাদা-কালো পতাকাটি ব্যবহার করা অব্যাহত থাকে। ১৯৫৮ সালে সিরিয়া ও মিশর যুক্ত হয়ে সংযুক্ত আরব প্রজাতন্ত্র নামের দেশ গঠন করে। এসময় হতে চালু হয় লাল-সাদা-কালো পতাকা, যার কেন্দ্রস্থলে দুইটি সবুজ তারকা আছে।
১৯৬১ সালে সিরিয়া যখন এই যুক্ত প্রজাতন্ত্র ত্যাগ করে, তখন অল্প সময়ের জন্য পূর্বের সবুজ-সাদা-কালো পতাকা আবার চালু হয়। তবে ১৯৬৩ সালের বাথ পার্টির অভ্যুত্থানের পরে লাল-সাদা-কালো পতাকা, যার কেন্দ্রস্থলে ছিলো ৩টি সবুজ তারকা, আবার চালু হয়। (একই পতাকা ঐসময় ইরাক ব্যবহার করতো)। ১৯৭১ সালে লাল-সাদা-কালো পতাকা প্রবর্তিত হয়, যার কেন্দ্রস্থলে একটি সোনালী ঈগল পাখি ছিলো। এসময় সিরিয়া, মিশর ও লিবিয়া একত্রে ফেডারেশন অফ আরব রিপাবলিক নামের যুক্তরাজ্যে পরিণত হয়েছিলো।
১৯৮০ সাল হতে বর্তমানের লাল-সাদা-কালো পতাকা, যার কেন্দ্রে দুটি সবুজ তারকা আছে, তা আবার চালু হয়।
তাৎপর্য
পতাকার বর্ণগুলি আরবদের চিরন্তন বর্ণ হিসাবে স্বীকৃত। এধরনের বর্ণ ইয়েমেন, মিশর, সুদান এবং ইরাকের জাতীয় পতাকায় দেখা যায়। কেন্দ্রের দুইটি তারকা মিশর ও সিরিয়ার প্রতীক, যারা মিলে সংযুক্ত আরব প্রজাতন্ত্র গঠন করেছিলো। সবুজ বর্ণটি ফাতেমীয় খলিফাদের, সাদাটি উমাইয়া খলিফাদের, এবং কালো বর্ণটি আব্বাসীয় খলিফাদের প্রতীক। লাল বর্ণটি শহীদদের রক্তের প্রতীক।
আরও দেখুন
বহিঃসংযোগ
সিরিয়ার পতাকার ইতিহাস
বিষয়শ্রেণী:সিরিয়া
বিষয়শ্রেণী:দেশ অনুযায়ী পতাকা | সিরিয়ার জাতীয় পতাকা |
ক্যান্ডেলা হলো কোন আলোক উৎসের ঔজ্জ্বল্যের তীব্রতা পরিমাপের এস আই একক (সংকেত cd)
১৯৭৯ সালে সংঘটিত এস আই একক নির্ধারক ষোড়শ জেনারাল কনফারেন্স অফ ওয়েটস আন্ড মেজারসের সংজ্ঞাঃ
"The candela is the luminous intensity, in a given direction, of a source that emits monochromatic radiation of frequency 540×1012 hertz and that has a radiant intensity in that direction of 1/683 watt per steradian." অর্থাৎ কোন ৫৪০×১০১২ হার্জ কম্পাঙ্কের শুদ্ধ এক-কম্পাঙ্ক আলোক উৎসের দীপ্তির বিকীরণ তীব্রতা ১/৬৮৩ ওয়াট/স্টেরাডিয়ান হলে তার ঔজ্জ্বল্য তীব্রতাকে এক ক্যান্ডেলা বলে হবে।
মানব চোখ সাধারণত ৪০০ থেকে ৭০০ ন্যানোমিটার কম্পাংকের আলো সমূহ দেখতে পায়। কম্পাংক ৫৪০ টেরা (১০১২) হার্জ মানে তরঙ্গদৈর্ঘ ৫৫৫ ন্যানোমিটার যা সবুজ। আমাদের চোখ সবুজ আলোতে সবচেয়ে সংবেদনশীল ।। সাধারণ মোমবাতি ১ ক্যান্ডেলার মত আলো দেয়। একটি ১০০ ওয়াটের incandescent light bulb ১২০ ক্যান্ডেলা সমপরিমাণ আলো বিতরন করে। ফোকাস LED ( মোবাইল এর টর্চ) তে ২০০০ mcd এর বেশি আলো হয়।
তথ্যসূত্র
Arnob
বিষয়শ্রেণী:এসআই একক | ক্যান্ডেলা |
হিমছড়ি বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বিভাগের কক্সবাজার জেলায় অবস্থিত একটি পর্যটনস্থল। কক্সবাজার থেকে এটি ১২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। হিমছড়ির একপাশে রয়েছে সুবিস্তৃত সমুদ্র সৈকত আর অন্যপাশে রয়েছে সবুজ পাহাড়ের সারি। হিমছড়িতে একটি জলপ্রপাত রয়েছে যা এখানকার প্রধান পর্যটন আকর্ষণ। যদিও বর্ষার সময় ছাড়া অন্যান্য অনেক সময়ই ঝরণায় পানি থাকে না বা শুষ্ক থাকে। তবুও প্রাকৃতিক পরিবেশ হিসেবে হিমছড়ি, পর্যটকদের অনন্য এক আকর্ষণ।
চিত্রশালা
তথ্যসুত্র
বহিঃসংযোগ
বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশের পর্যটন স্থল
বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশের সমুদ্র সৈকত
বিষয়শ্রেণী:কক্সবাজার জেলা | হিমছড়ি |
ছাওলা (), ভারতের ন্যাশনাল ক্যাপিটাল টেরিটোরি অফ দিল্লী রাজ্যের দক্ষিণ পশ্চিম জেলার একটি শহর ।
জনসংখ্যার উপাত্ত
ভারতের ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুসারে ছাওলা শহরের জনসংখ্যা হল ৯০৪৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫৭%, এবং নারী ৪৩%।
এখানে সাক্ষরতার হার ৭৭%, । পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৮৩%, এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৬৮%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%, তার চাইতে ছাওলা এর সাক্ষরতার হার বেশি।
এই শহরের জনসংখ্যার ১৩% হল ৬ বছর বা তার কম বয়সী।
তথ্যসূত্র
বিষয়শ্রেণী:ন্যাশনাল ক্যাপিটাল টেরিটোরি অফ দিল্লীর শহর | ছাওলা |
গোকল পুর ভারতের দিল্লীর একটি শহর।
জনসংখ্যার উপাত্ত
ভারতের ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুসারে গোকল পুর শহরের জনসংখ্যা হল ৯০,৫৬৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫৪%, এবং নারী ৪৬%।
এখানে সাক্ষরতার হার ৫৮%, । পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৬৩%, এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৫২%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%, তার চাইতে গোকল পুর এর সাক্ষরতার হার কম।
এই শহরের জনসংখ্যার ১২% হল ৬ বছর বা তার কম বয়সী।
তথ্যসূত্র
বিষয়শ্রেণী:ন্যাশনাল ক্যাপিটাল টেরিটোরি অফ দিল্লীর শহর | গোকল পুর |
খেরা খুর্দ (), ভারতের ন্যাশনাল ক্যাপিটাল টেরিটোরি অফ দিল্লী রাজ্যের উত্তর পশ্চিম জেলার একটি শহর ।
জনসংখ্যার উপাত্ত
ভারতের ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুসারে খেরা খুর্দ শহরের জনসংখ্যা হল ৮৮১৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫৬%, এবং নারী ৪৪%।
এখানে সাক্ষরতার হার ৭২%, । পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৭৮%, এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৬৫%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%, তার চাইতে খেরা খুর্দ এর সাক্ষরতার হার বেশি।
এই শহরের জনসংখ্যার ১৩% হল ৬ বছর বা তার কম বয়সী।
তথ্যসূত্র
বিষয়শ্রেণী:ন্যাশনাল ক্যাপিটাল টেরিটোরি অফ দিল্লীর শহর | খেরা খুর্দ |
নাঙাল দেওয়াত () ভারতের ন্যাশনাল ক্যাপিটাল টেরিটোরি অফ দিল্লী রাজ্যের দক্ষিণ পশ্চিম জেলার একটি শহর।
জনসংখ্যার উপাত্ত
ভারতের ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুসারে নাঙাল দেওয়াত শহরের জনসংখ্যা হল ১৩,১৬৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫৬%, এবং নারী ৪৪%।
এখানে সাক্ষরতার হার ৬৪%, । পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৭৩%, এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৫২%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%, তার চাইতে নাঙাল দেওয়াত এর সাক্ষরতার হার বেশি।
এই শহরের জনসংখ্যার ১৪% হল ৬ বছর বা তার কম বয়সী।
তথ্যসূত্র
বিষয়শ্রেণী:ন্যাশনাল ক্যাপিটাল টেরিটোরি অফ দিল্লীর শহর | নাঙাল দেওয়াত |
সাদাত পুর গুজরান () ভারতের ন্যাশনাল ক্যাপিটাল টেরিটোরি অফ দিল্লী রাজ্যের উত্তর পূর্ব জেলার একটি শহর।
জনসংখ্যার উপাত্ত
ভারতের ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুসারে সাদাত পুর গুজরান শহরের জনসংখ্যা হল ৪২,৫৬৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫৫%, এবং নারী ৪৫%।
এখানে সাক্ষরতার হার ৬৩%, । পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৭২%, এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৫২%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%, তার চাইতে সাদাত পুর গুজরান এর সাক্ষরতার হার বেশি।
এই শহরের জনসংখ্যার ২০% হল ৬ বছর বা তার কম বয়সী।
তথ্যসূত্র
বিষয়শ্রেণী:ন্যাশনাল ক্যাপিটাল টেরিটোরি অফ দিল্লীর শহর | সাদাত পুর গুজরান |
বাঙ্কনের () ভারতের ন্যাশনাল ক্যাপিটাল টেরিটোরি অফ দিল্লী রাজ্যের উত্তর পশ্চিম জেলার একটি শহর।
জনসংখ্যার উপাত্ত
ভারতের ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুসারে বাঙ্কনের শহরের জনসংখ্যা হল ২১,০৮৫ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫৫%, এবং নারী ৪৫%।
এখানে সাক্ষরতার হার ৬৪%, । পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৭১%, এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৫৫%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%, তার চাইতে বাঙ্কনের এর সাক্ষরতার হার বেশি।
এই শহরের জনসংখ্যার ১৬% হল ৬ বছর বা তার কম বয়সী।
তথ্যসূত্র
বিষয়শ্রেণী:ন্যাশনাল ক্যাপিটাল টেরিটোরি অফ দিল্লীর শহর | বাঙ্কনের |
হোসে সারামাগো () একজন পর্তুগীজ কথাসাহিত্যিক যিনি ১৯৯৮ খ্রিষ্টাব্দের সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। পর্তুগালে তার জন্ম ১৯২২ খ্রিষ্টাব্দের নভেম্বর ১৬ তারিখে, এক গ্রামীণ মজুদর পরিবারে। তার মৃত্যু হয় ২০১০ খ্রিষ্টাব্দের ১৮ জুন, ৮৭ বৎসর বয়সে। ১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দে তার প্রথম উপন্যাস ল্যান্ড অব সিন প্রকাশিত হয়। চরম দারিদ্রের কারণে ছেলেবেলায় তার যথাযথ প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা হয় নি। জীবিকার তাগিদে তাকে বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ নিতে হয়েছিল। ১৯৬০ এবং ১৯৭০-এর দশকে তিনি সাংবাদিকতায় জড়িত ছিলে। ১৯৬৯-এ তিনি পর্তুগীজ কমিউনিস্ট পার্টিতে যোগদান করেছিলেন। তার ১৯৯১ খ্রিষ্টাব্দে প্রকাশিত দ্য গসপেল একর্ডিং টু জিসাস ক্রাইস্ট গ্রন্থটি ইয়োরোপীয় ইউনিয়ন সাহিত্য পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়। কিন্তু চার্চের চাপে পর্তুগীজ সরকার এতে বাধ সাধে। অভিমান করে হোসে সারামাগো ক্যানারী দ্বীপপুঞ্জে স্বোচ্ছানির্বাসনে চলে যান। তিনি হাতে না-লিখে সরাসরি টাইপরাইটারের সাহায্যে বা কম্পিউটারের ওয়ার্ড প্রসেসরে লেখা-লিখি করতেন।
তথ্যসূত্র
বিষয়শ্রেণী:নোবেল বিজয়ী সাহিত্যিক
বিষয়শ্রেণী:পর্তুগিজ সাহিত্যিক
বিষয়শ্রেণী:১৯২২-এ জন্ম
বিষয়শ্রেণী:২০১০-এ মৃত্যু
বিষয়শ্রেণী:২০শ শতাব্দীর নাস্তিক
বিষয়শ্রেণী:২১শ শতাব্দীর নাস্তিক
বিষয়শ্রেণী:লিউকিমিয়ায় মৃত্যু | হোসে সারামাগো |
right|thumb|220px|লেবাননের জাতীয় পতাকা
লেবাননের জাতীয় পতাকা দুইটি অনুভূমিক লাল অংশ ও তাদের মাঝে একটি সাদা অংশ নিয়ে গঠিত। সাদা ডোরাকৃতির অংশটি উচ্চতায় লাল অংশগুলির দ্বিগুণ। সাদা অংশের কেন্দ্রে পতাকার মধ্যস্থলে একটি সবুজ বর্ণের সিডার গাছের ছবি আছে, যা উপরের ও নিচের লাল অংশদুটিকে স্পর্শ করে আছে। পতাকাটি ১৯৪৩ সালের ৭ই ডিসেম্বর হতে প্রবর্তন করা হয়।
বিষয়শ্রেণী:দেশ অনুযায়ী পতাকা
বিষয়শ্রেণী:লেবানন | লেবাননের জাতীয় পতাকা |
পাইথন বলতে বোঝানো হতে পারে -
পাইথন - এক প্রজাতির বৃহদাকার সাপ;
পাইথন (প্রোগ্রামিং ভাষা) - কম্পিউটারের একটি উচ্চস্তরের প্রোগ্রামিং ভাষা। | পাইথন (দ্ব্যর্থতা নিরসন) |
ক্যালকুলাস বা কলন বা অণুকলন () হলো অবিচ্ছিন্ন পরিবর্তনের গাণিতিক অধ্যয়ন, ঠিক যেমন জ্যামিতি হলো আকৃতির এবং বীজগণিত হলো পাটিগণিতের ক্রিয়াকলাপ সমূহের সাধারণীকরণের অধ্যয়ন। ক্যালকুলাসের দুটি প্রধান শাখা রয়েছে যার একটি হলো অন্তরকলন এবং অপরটি হলো সমাকলন। অন্তরকলনের সাহায্যে তাৎক্ষণিক পরিবর্তনের হার ও বক্ররেখার ঢাল নির্ণয় করা হয়, এবং সমাকলনের সাহায্যে কোনোকিছুর মোট পরিমাণ ও বক্ররেখা দ্বারা সীমাবদ্ধ ক্ষেত্রের ক্ষেত্রফল নির্ণয় করা হয়। এই শাখা দুটি ক্যালকুলাসের মৌলিক উপপাদ্যের সাহায্যে সম্পর্কিত এবং তারা অসীম ক্রম এবং অসীম ধারাকে একটি সু-সংজ্ঞায়িত সীমায় রূপান্তর করার মৌলিক ধারণাকে ব্যবহার করে।
আইজাক নিউটন এবং গটফ্রিড ভিলহেল্ম লাইবনিৎস ১৭শ শতাব্দীর শেষের দিকে ইনফিনিটেসিমাল ক্যালকুলাসকে স্বাধীনভাবে বিকশিত করেছিলেন। বর্তমানে বিজ্ঞান, প্রকৌশল এবং অর্থনীতিতে ক্যালকুলাসের ব্যাপক ব্যবহার রয়েছে।
গণিত শিক্ষায় ক্যালকুলাস দ্বারা প্রাথমিক গাণিতিক বিশ্লেষণের পাঠ্যক্রমকে বোঝায়, যা মূলত ফাংশন এবং সীমা অধ্যয়নের জন্য নিবেদিত। ক্যালকুলাস (বহুবচনে ক্যালকুলাই) শব্দটি লাতিন ভাষা থেকে এসেছে এবং এর অর্থ "নুড়িপাথর"। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে অনেক ক্ষেত্রেই ক্যালকুলাস একটি বাধ্যতামূলক বিষয়।
ইতিহাস
আধুনিক ক্যালকুলাস ১৭শ শতাব্দীতে ইউরোপে আইজাক নিউটন এবং গটফ্রিড ভিলহেল্ম লাইবনিৎস (একে অপরের সাথে আলাদাভাবে, তবে একই সময়ে প্রকাশিত) কর্তৃক বিকশিত হয়েছে তবে এর উপাদানগুলি প্রাচীন গ্রিসে, এরপর চীনে, এরপর মধ্যপ্রাচ্য এবং পুনরায় মধ্যযুগীয় ইউরোপ ও ভারতে আবির্ভাব হয়েছিল।
প্রাচীন
থাম্ব|247x247পিক্সেল|আর্কিমিডিস পরাবৃত্ত দ্বারা আবৃত ক্ষেত্রের ক্ষেত্রফল নির্ণয়ের জন্য নি:শেষ পদ্ধতি ব্যবহার করেছিলেন।
প্রাচীন আমলে কিছু ধারণা প্রবর্তিত হয়েছিল যা সমাকলন ক্যালকুলাসের দিকে পরিচালিত হলেও এই ধারণাগুলি যথাযথ এবং রীতিবদ্ধ পদ্ধতিতে বিকশিত হয়নি। আয়তন এবং ক্ষেত্রফল নির্ণয় হলো সমাকলন ক্যালকুলাসের একটি লক্ষ্য, যা মিশরীয় মস্কোর পাপিরাসগুলিতে (১৩তম রাজবংশ, খ্রিষ্টপূর্ব) পাওয়া গিয়েছে; তবে সূত্রগুলি কেবল সাধারণ নির্দেশাবলী, পদ্ধতি সম্পর্কে কোনো ইঙ্গিত নেই এবং এগুলির কয়েকটিতে প্রধান উপাদানের ঘাটতি রয়েছে।
গ্রিক গণিতের যুগে ইউডক্সাস ( খ্রিষ্টপূর্ব) নিঃশেষ পদ্ধতি ব্যবহার করেছিলেন যা ক্ষেত্রফল ও আয়তন নির্ণয়ের ক্ষেত্রে সীমার ধারণাকে পূর্বসূরিত করে। আর্কিমিডিস ( খ্রিষ্টপূর্ব) এই ধারণাকে সম্প্রসারিত করে হিউরিস্টিক আবিষ্কার করেছিলেন যা সমাকলন ক্যালকুলাসের পদ্ধতিগুলির সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ।
পরে খ্রিস্টীয় তৃতীয় শতাব্দীতে চীনের লিউ হুই বৃত্তের ক্ষেত্রফল নির্ণয়ের জন্য নিঃশেষ হওয়ার পদ্ধতিটি আবিষ্কার করেছিলেন। খ্রিস্টীয় ৫ম শতাব্দীতে জু চঙঝির পুত্র জু গেঞ্জি একটি পদ্ধতি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন যা পরবর্তীকালে গোলকের আয়তন নির্ণয়ের কাভালিরির নীতি হিসেবে পরিচিত হয়েছিল।
মধ্যযুগীয়
মধ্যপ্রাচ্যে হাসান ইবনে আল-হাইসাম, লাতিন ভাষায় আল-হাইজেন ( খ্রিষ্টাব্দ) চতুর্থ ঘাতের ফাংশনের যোগফলের সূত্র তৈরি করেছিলেন। এই যোগফলকে তিনি প্যারাবলোইডের ক্ষেত্রফল গণনার জন্য ব্যবহার করেছিলেন, বর্তমানে যা ওই ফাংশনের সমাকলন হিসেবে পরিচিত হয়েছে।
চতুর্দশ শতাব্দীতে ভারতীয় গণিতবিদগণ কিছু ত্রিকোণমিতিক ফাংশনে প্রযোজ্য, আন্তরকলনের অনুরূপ একটি যথাযথ পদ্ধতি দিয়েছেন। সঙ্গমগ্রমার মাধব এবং কেরালা স্কুল অব অ্যাস্ট্রোনমি অ্যান্ড ম্যাথমেটিক্স ক্যালকুলাসের বিষয়বস্তু বর্ণনা করেছিলেন। এই বিষয়বস্তু সম্বলিত একটি সম্পূর্ণ তত্ত্ব বর্তমানে পশ্চিমা বিশ্বে টেলর ধারা হিসাবে পরিচিত। তবে তারা "পৃথক পৃথক ধারণাগুলিকে অন্তরজ এবং সমাকলনের অধীনে এনে উভয়ের মধ্যে সংযোগ প্রদর্শন করতে এবং বর্তমানে সমস্যা সমাধানের দুর্দান্ত সরঞ্জাম ক্যালকুলাসে পরিণত করতে সক্ষম ছিল না"।
আধুনিক
ভিত্তি
তাৎপর্য
নীতিমালা
সীমা এবং অনীয়ান
অন্তরকলন ক্যালকুলাস
লাইবনিৎস পাটীগণিত
সমাকলন ক্যালকুলাস
মৌলিক উপপাদ্য
প্রয়োগ
বিভিন্নতা
বছরের পর বছর ধরে বিভিন্ন উদ্দেশ্যে ক্যালকুলাসের অনেকগুলি সংস্কার আবিষ্কার করা হয়েছে।
অনাদর্শ ক্যালকুলাস
মসৃণ অনীয়ান বিশ্লেষণ
এটি হলো অনীয়ানসমূহের ক্ষেত্রে ক্যালকুলাসের আরেকটি সংস্কার। উইলিয়াম লওভেরের ধারণা এবং ক্যাটাগরি তত্ত্বের পদ্ধতিগুলি প্রয়োগের উপর ভিত্তি করে এটি সমস্ত ফাংশনকে অবিচ্ছিন্ন হিসেবে বিবেচনা করে এবং বিচ্ছিন্ন সত্ত্বার ক্ষেত্রে প্রকাশ করতে অক্ষম। এই সূত্রের একটি দিক হলো,এই সূত্রটি বাম মধ্যম সূত্রটিকে ধারণ করে না।
গঠনমূলক বিশ্লেষণ
গঠনমূলক গণিত গণিতের একটি শাখা যা জোর দেয় যে একটি সংখ্যা, ফাংশন বা অন্যান্য গাণিতিক বস্তুর অস্তিত্বের প্রমাণগুলি বস্তুটির একটি নির্মাণ প্রদান করা উচিৎ। যেমন গঠনমূলক গণিতও বাম মধ্যম সুত্রটিকে প্রত্যাখ্যান করে। একটি গঠনমূলক কাঠামোয় ক্যালকুলাসের সংস্কার সাধারনত গঠনমূলক বিশ্লেষণের অংশ।
আরও দেখুন
তালিকা
ক্যালকুলাসের শব্দকোষ
ক্যালকুলাস বিষয়সমূহের তালিকা
অন্তরকলন বিধি
গণিতে গুরুত্বপূর্ণ প্রকাশনার তালিকা
সমাকলনের তালিকাসমূহ
অন্যান্য সম্পর্কিত বিষয়
অন্যান্য সম্পর্কিত বিষয়
সসীম পার্থক্যের ক্যালকুলাস
বহুপদীর ক্যালকুলাস
জটিল বিশ্লেষণ
অন্তরক সমীকরণ
ব্যবকলনীয় জ্যামিতি
বিচ্ছিন্ন ক্যালকুলাস
ফুরিয়ার ধারা
সমাকলন সমীকরণ
গাণিতিক বিশ্লেষণ
বহুচলক ক্যালকুলাস
অচিরায়ত বিশ্লেষণ
অনাদর্শ বিশ্লেষণ
অনাদর্শ ক্যালকুলাস
প্রিক্যালকুলাস (গণিত শিক্ষা)
স্টোকাস্টিক ক্যালকুলাস
টেলর ধারা
তথ্যসূত্র
আরও পড়ুন
গ্রন্থ
Boyer, Carl Benjamin (1949). The History of the Calculus and its Conceptual Development. Hafner. Dover edition 1959,
Courant, Richard Introduction to calculus and analysis 1.
Edmund Landau. Differential and Integral Calculus, American Mathematical Society.
Robert A. Adams. (1999). Calculus: A complete course.
Albers, Donald J.; Richard D. Anderson and Don O. Loftsgaarden, ed. (1986) Undergraduate Programs in the Mathematics and Computer Sciences: The 1985–1986 Survey, Mathematical Association of America No. 7.
John Lane Bell: A Primer of Infinitesimal Analysis, Cambridge University Press, 1998. . Uses synthetic differential geometry and nilpotent infinitesimals.
Florian Cajori, "The History of Notations of the Calculus." Annals of Mathematics, 2nd Ser., Vol. 25, No. 1 (Sep. 1923), pp. 1–46.
Leonid P. Lebedev and Michael J. Cloud: "Approximating Perfection: a Mathematician's Journey into the World of Mechanics, Ch. 1: The Tools of Calculus", Princeton Univ. Press, 2004.
Cliff Pickover. (2003). Calculus and Pizza: A Math Cookbook for the Hungry Mind.
Michael Spivak. (September 1994). Calculus. Publish or Perish publishing.
Tom M. Apostol. (1967). Calculus, Volume 1, One-Variable Calculus with an Introduction to Linear Algebra. Wiley.
Tom M. Apostol. (1969). Calculus, Volume 2, Multi-Variable Calculus and Linear Algebra with Applications. Wiley.
Silvanus P. Thompson and Martin Gardner. (1998). Calculus Made Easy.
Mathematical Association of America. (1988). Calculus for a New Century; A Pump, Not a Filter, The Association, Stony Brook, NY. ED 300 252.
Thomas/Finney. (1996). Calculus and Analytic geometry 9th, Addison Wesley.
Weisstein, Eric W. "Second Fundamental Theorem of Calculus." From MathWorld—A Wolfram Web Resource.
Howard Anton, Irl Bivens, Stephen Davis:"Calculus", John Willey and Sons Pte. Ltd., 2002.
Larson, Ron, Bruce H. Edwards (2010). Calculus, 9th ed., Brooks Cole Cengage Learning.
McQuarrie, Donald A. (2003). Mathematical Methods for Scientists and Engineers, University Science Books.
Stewart, James (2012). Calculus: Early Transcendentals, 7th ed., Brooks Cole Cengage Learning.
Thomas, George B., Maurice D. Weir, Joel Hass, Frank R. Giordano (2008), Calculus, 11th ed., Addison-Wesley.
অনলাইন গ্রন্থ
Crowell, B. (2003). "Calculus". Light and Matter, Fullerton. Retrieved 6 May 2007 from http://www.lightandmatter.com/calc/calc.pdf
Garrett, P. (2006). "Notes on first year calculus". University of Minnesota. Retrieved 6 May 2007 from http://www.math.umn.edu/~garrett/calculus/first_year/notes.pdf
Faraz, H. (2006). "Understanding Calculus". Retrieved 6 May 2007 from UnderstandingCalculus.com, URL http://www.understandingcalculus.com (HTML only)
Keisler, H.J. (2000). "Elementary Calculus: An Approach Using Infinitesimals". Retrieved 29 August 2010 from http://www.math.wisc.edu/~keisler/calc.html
Mauch, S. (2004). "Sean's Applied Math Book" (pdf). California Institute of Technology. Retrieved 6 May 2007 from https://web.archive.org/web/20070614183657/http://www.cacr.caltech.edu/~sean/applied_math.pdf
Sloughter, Dan (2000). "Difference Equations to Differential Equations: An introduction to calculus". Retrieved 17 March 2009 from http://synechism.org/drupal/de2de/
Stroyan, K.D. (2004). "A brief introduction to infinitesimal calculus". University of Iowa. Retrieved 6 May 2007 from https://web.archive.org/web/20050911104158/http://www.math.uiowa.edu/~stroyan/InfsmlCalculus/InfsmlCalc.htm (HTML only)
Strang, G. (1991). "Calculus" Massachusetts Institute of Technology. Retrieved 6 May 2007 from http://ocw.mit.edu/ans7870/resources/Strang/strangtext.htm
Smith, William V. (2001). "The Calculus". Retrieved 4 July 2008 (HTML only).
বহিঃসংযোগ
Calculus Made Easy (1914) by Silvanus P. Thompson Full text in PDF
Calculus.org: The Calculus page at University of California, Davis – contains resources and links to other sites
COW: Calculus on the Web at Temple University – contains resources ranging from pre-calculus and associated algebra
Earliest Known Uses of Some of the Words of Mathematics: Calculus & Analysis
Online Integrator (WebMathematica) from Wolfram Research
The Role of Calculus in College Mathematics from ERICDigests.org
OpenCourseWare Calculus from the Massachusetts Institute of Technology
Infinitesimal Calculus – an article on its historical development, in Encyclopedia of Mathematics, ed. Michiel Hazewinkel.
Calculus Problems and Solutions by D.A. Kouba
Donald Allen's notes on calculus
Calculus training materials at imomath.com
The Excursion of Calculus, 1772
বিষয়শ্রেণী:ক্যালকুলাস
বিষয়শ্রেণী:গাণিতিক বিশ্লেষণ | ক্যালকুলাস |
হেনরি ব্রিগ্স (ইংরেজি: Henry Briggs হেন্রি ব্রিগ্জ়্) (১৫৬১-১৬৩০) ইংরেজ গণিতবিদ যিনি ১০ ভিত্তিক সাধারণ লগারিদম প্রবর্তন করেন, যাকে এক সময় ব্রিগসীয় লগারিদম নামে উল্লেখ করা হতো। নেপিয়ার যখন তার লগারিদমের সারণি প্রকাশ করেন, তখন ব্রিগস তার সাথে গিয়ে দেখা করেন এবং ১০ ভিত্তির একটি বিকল্প লগারিদমের সংজ্ঞা প্রস্তাব করেন। ১৬১৭ সালে, নেপিয়ারের মৃত্যুর বছরে, ব্রিগস প্রথম ১০০০ সংখ্যার জন্য তার লগারিদম প্রকাশ করেন। ১৬২৪ সালে তিনি ৩০,০০০ লগারিদম সমৃদ্ধ সারণি প্রকাশ করেন; এই লগারিদমগুলি দশমিকের পরে ১৪ ঘর পর্যন্ত সঠিক ছিল।
তথ্যসূত্র
আরও দেখুন
CORDIC algorithm
বহিঃসংযোগ
'৪০০ বছরের পুরাতন তথ্য, ডাউনলোড উপযোগী কিছু ভিডিও , অডিও , ছবি )
বিষয়শ্রেণী:ইংরেজ গণিতবিদ
বিষয়শ্রেণী:১৫৬১-এ জন্ম
বিষয়শ্রেণী:১৬৩০-এ মৃত্যু | হেনরি ব্রিগস |
ফ্রিড্রিশ লুডভিগ গটলব ফ্রেগে () (৮ই নভেম্বর ১৮৪৮, ভিস্মার – ২৬শে জুলাই ১৯২৫, বাড ক্লাইনেন) জার্মান গণিতবিদ যিনি পরবর্তীতে যুক্তিবিজ্ঞানী ও দার্শনিকে পরিণত হন। তিনি আধুনিক গাণিতিক যুক্তিবিজ্ঞান (mathematical logic) ও বিশ্লেষণী দর্শনের (analytic philosophy) গোড়াপত্তনে ভূমিকা রাখেন। তার কাজ বিংশ শতাব্দীর দর্শনে, বিশেষত ইংরেজিভাষী দেশগুলোতে, গভীর প্রভাব ফেলে।
বিষয়শ্রেণী:জার্মান গণিতবিদ
বিষয়শ্রেণী:১৮৪৮-এ জন্ম
বিষয়শ্রেণী:১৯২৫-এ মৃত্যু | গট্লব ফ্রেগে |
ঠোঙা কাগজ বা শালপাতা জাতীয় পাতলা জিনিস দিয়ে তৈরি খুব হাল্কা পাত্র বা থলি। ঠোঙা সাধারণ দৃঢ় পাত্রের মত অনমনীয় নয়, আবার থলের মতও নয়, অভিকর্ষের বিরুদ্ধে নিজের আকৃতি বজায় রাখতে পারে (যা কাপড়ের থলে পারেনা)। কাগজের ঠোঙা (পেপার ব্যাগ) সহজেই ভাঁজ করা যায়। শালপাতার ঠোঙা অপেক্ষাকৃত শক্ত এবং এর উপর কলাপাতা বা অরেকটি শালপাতার টুকরো দিয়ে তৈরি ঢাকনা থাকতে পারে। গরীব দেশে সাধারণতঃ পুরোনো খবরের কাগজ পুনর্ব্যবহার করার অন্যতম জনপ্রিয় উপায় হল তা দিয়ে ঠোঙা বানানো।
কাগজের ঠোঙা
right|thumb|220px|কাগজের ঠোঙা
প্লাস্টিকের প্যাকেট আসার অনেক আগে থেকেই কাগজের ঠোঙার ব্যবহার ছিল। এবং পরিবেশ দূষণ কম করবার জন্যে প্লাস্টিকের ব্যবহারাবার কম করার চেষ্টা হচ্ছে, তাই কাগজের ঠোঙার ব্যবহার আবার বাড়ছে। কাগজের ঠোঙা নানা আয়তনের ও অন্যপাতের হয়। যেমন মুড়ির ঠোঙা বলতে সাধারণতঃ বোঝায় ৫০০ গ্রাম মুড়ি ধরতে পারে এমন আয়তনের ঠোঙা। চানাচুর বা ঝালমুড়ির ঠোঙা বলতে বোঝায় ১০০ গ্রাম ঝালমুড়ি যাতে ভরে ট্রেনে ঝালমুড়ি-ওয়ালারা বিক্রি করে সেই রকম ঠোঙা। খবরের কাগজের দৃঢ়তায় মুড়ির ঠোঙার থেকে বেশি বড় ঠোঙা বানালে সেটা তার ভেতরে জিনিস ধরবার মত মজবুত হবার সম্ভাবনা কম। কাগজের ঠোঙার সুবিধে হল একে আঠা দিয়ে সহজেই জোড়া যায়। কিন্তু অসুবিধে হল ভিজে গেলে কাগজের ঠোঙা খুব দুর্বল হয়ে ছিড়ে যায়।
কাগজের ঠোঙা বানাবার পদ্ধতি
কাগযের ঠোঙা নানা ভাবে বানানো যায়। সাধারণতঃ গঁদের আঠা বা ময়দার আঁঠা দিয়ে ভাঁজ করা কাগজের খোলা প্রান্তগুলি জুড়ে কাগজের ঠোঙা বানানো হয়। এই রকম একটি জনপ্রিয় পদ্ধতির প্রধান ধাপগুলি এখানে সংক্ষেপে বলা হলঃ
প্রথমে আয়তক্ষেত্রাকার একটি কাগজের টুকরোর দুটি বিপরীত প্রান্ত আঠা দিয়ে জুড়ে চোঙা (সিলিণ্ডার) আকৃতির করে তারপর চেপ্টে দেওয়া হয়।
তারপর তার যেকোন একটি খোলা দিককে নিম্ন বর্ণিত পদ্ধতিতে বন্ধ করা হয়ঃ
চোঙা আকৃতির কাগজটির ভাঁজ করা প্রান্তের এই খোলা মুখের দিকের কোনাদুটিকে মুড়িয়ে চোঙার ভিতরে প্রবেশ করিয়ে দেওয়া হয়। ততটাই প্রবেশ করানো হয় যাতে দুই দিক থেকে প্রবেশ করানো ধারদুটি কাছা কাছি এসে যায়।
একটি ছোটো আয়ত ক্ষেত্রাকার কাগজের টুকরো নিচে থেকে আঠা দিয়ে আটকে দিয়ে এই প্রান্তদুটিকে একে অপরের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়।
এবারে চাপ্টা থেকে আবার চোঙা আকারে নিয়ে এলে আর্ধেক বন্ধ করা মুখটির আটকানো কোণাদুটির সঙ্গে আড়াআড়িভাবে অবস্থিত অন্যদুটি কোণাকে উপরোক্ত কাগজের টুকড়োর উপরে (বাইরে দিয়ে) আঠা দিয়ে জুড়ে দেওয়া হয়। ঠোঙা তৈরী।
ঠোঙা বাঁধার পদ্ধতি
ঠোঙা নানা ভাবে বাঁধা যায়। কাগজের ঠোঙার বিশেষত্ব হল এর নমনীয়তার জন্য কম ভর্তি ঠোঙার খালি অংশকে সম্পূর্ণ মুড়িয়ে দেওয়া যায়। কিন্তু প্রায় ভর্তি হলে ঠোঙার খোলা মুখটিকে আয়ত ক্ষেত্রাকার করে প্রায় সেই আকারের একটি কাগজের টুকরো ভিতরে ভরা জিনিসের উপরে দিয়ে দিয়ে খোলা মাথাটিকে ঢেকে দেওয়া হয়। তার পর এর উপরে জেগে থাকে ঠোঙার মুক্ত প্রান্তকে এই কাগজের উপর দিয়ে মুড়িয়ে সুতা বা পাটের দড়ি দিয়ে বেঁধে দেওয়া হয়।
শালপাতার ঠোঙা
শঙ্কু আকৃতির ও বাটি আকৃতির শালপাতা ঠোঙা ফুচকাওয়ালা, ভেলপুরীওয়ালা ইত্যাদিরা নিয়মিত ব্যবহার করে থাকেন বিশেষ করে যখন এর মধ্যে কোন তরল খাদ্য পরিবেশন করা হয়। এগুলি আঠা দিয়ে আটকানো নয়। এগুলি ছোট কাঠি দিয়ে গাঁথা থেকে (বা অনেক সময় স্টেপ্ল করা থাকে)। শক্ত করার দরকার হলে বা বেশিক্ষণ তরল ধরে রাখবার হলে একাধিক স্তরে পাতা ব্যবহার করা হয়।
এগুলি ভাঁজ করলে ফেটে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই খোলা অংশ বন্ধ করার জন্য আলাদা কলাপাতা বা শালপাতার ঢাকনা ব্যবহার করা হয়।
বিষয়শ্রেণী:পাত্র | ঠোঙা |
আন্টোনি জিগমুন্ড (জন্ম:২৬ ডিসেম্বর, ১৯০০, ওয়ারস - মৃত্যু: ৩০ মে, ১৯৯২, শিকাগো) পোলীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন গণিতবিদ। তিনি বিংশ শতাব্দীর গণিতে প্রভাব বিস্তারকারী গণিতবিদদের একজন। তিনি হারমনিক বিশ্লেষণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন।
জন্ম ও শিক্ষাজীবন
জিগমুন্ড ১৯২৩ সালে ওয়ারস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি লাভ করেন। তিনি ১৯২২ থেকে ১৯২৯ সাল পর্যন্ত ওয়ারস-র পলিটেকনিক স্কুল ও ১৯২৬-১৯২৯ পর্যন্ত তার ওয়ারস বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ান। এরপর ইংল্যান্ডে রকাফেলার বৃত্তি নিয়ে এক বছর পড়াশোনা করেন। তারপর বর্তমান লিথুয়ানিয়া অঞ্চলের উইলনো বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেন। পোলীয় সেনাবাহিনীতে কিছুদিন কাজ করার পর ১৯৪০ সালে তিনি যুদ্ধপীড়িত মাতৃভূমি ছেড়ে পালিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চলে আসেন। সেখানে মাউন্ট হোলিওক কলেজ এবং পেনসিলভেনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানোর পর শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেন, যেখানে তিনি ১৯৮০ সালে অবসর নেয়ার আগ পর্যন্ত শিক্ষকতা করেন।
সুদীর্ঘ ৬০ বছরের শিক্ষকতা জীবনে জিগমুন্ড ৮০রও বেশি ছাত্রকে পিএইচডি লাভে সহায়তা করেন। ১৯৮৬ সালে তিনি শিকাগো ধারার গাণিতিক বিশ্লেষণ সৃষ্টি করার জন্য মার্কিন জাতীয় বিজ্ঞান পদক (U.S. National Medal of Science) লাভ করেন। এই ধারায় ফুরিয়ে বিশ্লেষণ ও আংশিক অন্তরক সমীকরণে এর প্রয়োগের ওপর জোর দেয়া হয়।
জিগমুন্ড মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, পোল্যান্ড, আর্জেন্টিনা ও স্পেনের জাতীয় বিজ্ঞান একাডেমীসমূহের সদস্য ছিলেন।
কর্মজীবন
প্রকাশিত গ্রন্থাবলি
Trigonometric Series (১৯৩৫)
Analytic Functions (১৯৩৮)
Measure and Integral (১৯৭৭)
তথ্যসূত্র
Kazimierz Kuratowski, A Half Century of Polish Mathematics: Remembrances and Reflections, Oxford, Pergamon Press, 1980, .
The 2nd edition (Cambridge U. Press, 1959) consists of 2 separate volumes. The 3rd edition (Cambridge U. Press, 2002) consists of the two volumes combined with a foreword by Robert A. Fefferman.
The first edition (vol. V of the series Monografje Matematyczne, 1935) consists of iv+320 pp. The third edition consists of foreword: xii; vol. I: xiv+383 pp.; vol. II: viii+364 pp.
বহি:সংযোগ
Antoni Zygmund
বিষয়শ্রেণী:১৯০০-এ জন্ম
বিষয়শ্রেণী:১৯৯২-এ মৃত্যু
বিষয়শ্রেণী:মার্কিন গণিতবিদ | আন্টোনি জিগমুন্ড |
বিশ্ব উষ্ণায়ন হলো জলবায়ু পরিবর্তনের একটি বিশেষ ঘটনা। সাধারণত সময় বা কারণ-নিরপেক্ষ হলেও বৈশ্বিক উষ্ণায়ণ বলতে মূলত ইদানীং কালের উষ্ণতা বৃদ্ধিকেই নির্দেশ করা হয় এবং এটি মানুষের কার্যক্রমের প্রভাবে ঘটেছে। জলবায়ু পরিবর্তনের রূপরেখা সম্মেলন বৈশ্বিক উষ্ণায়নকে মানুষের কারণে সৃষ্ট, আর জলবায়ুর বিভিন্নতাকে অন্য কারণে সৃষ্ট জলবায়ুর পরিবর্তন বোঝাতে ব্যবহার করে। কিছু কিছু সংগঠন মানুষের কারণে পরিবর্তনসমূহকে মনুষ্যসৃষ্ট (anthropogenic) জলবায়ুর পরিবর্তন বলে।
উষ্ণায়নের ইতিহাস
যন্ত্রকৃত তাপমাত্রার দলিল অনুযায়ী ১৮৬০-১৯০০ সালের তুলনায় ভূভাগ ও সমুদ্র উভয় ক্ষেত্রেই বিশ্বের তাপমাত্রা ০.৭৫°সে. (১.৪° ফা.) বৃদ্ধি পেয়েছে; শহুরে তাপদ্বীপের অতিরিক্ত গরমকে তেমন তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হয়নি। ১৯৭৯ সাল থেকে ভূ-ভাগের তাপমাত্রা মহাসাগরের তাপমাত্রার চেয়ে দ্বিগুণ দ্রুততায় বৃদ্ধি পেয়েছে (দশকে ০.১৩°সে. এবং স্থলে ০.২৫°সে.) (Smith, ২০০৫)। কৃত্রিম উপগ্রহকৃত তাপমাত্রা পরিমাপ হতে দেখা যায় যে, নিম্ন ট্রপোমণ্ডলের তাপমাত্রা ১৯৭৯ সাল থেকে প্রতি দশকে ০.১২°সে.-০.২২°সে. সীমার মধ্যে বৃদ্ধি পেয়েছে। ১৮৫০ সালের এক বা দুই হাজার বছর আগে থেকে তাপমাত্রা অপেক্ষাকৃত স্থিতিশীল ছিল, তাছাড়া সম্ভবত মধ্যযুগীয় উষ্ণ পর্ব কিংবা ক্ষুদ্র বরফযুগের মত কিছু আঞ্চলিক তারতম্য ঘটেছিল। নাসা-র (NASA) গডার্ড ইনস্টিটিউট ফর স্পেস স্টাডিজ-এর (Goddard Institute for Space Studies) করা অনুমিত হিসাব অনুযায়ী ১৮০০ শতকের শেষের দিক থেকে নির্ভরযোগ্য তাপমাত্রা মাপক যন্ত্রের ব্যাপক বিস্তার লাভের পর ২০০৫ সাল ছিল সবচেয়ে উষ্ণ বছর, যা ইতিপূর্বে লিপিবদ্ধ উষ্ণতম ১৯৯৮ সাল থেকে এক ডিগ্রীর কয়েক শতাংশ বেশি উষ্ণ। বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা এবং যুক্তরাজ্য জলবায়ু গবেষণা ইউনিট, একটি অনুমিত হিসাব থেকে ২০০৫ সালকে ১৯৯৮ সালের পরে দ্বিতীয় উষ্ণতম বছর হিসেবে বিবৃত করে।
শেষ ৫০ বছরে সবচেয়ে বিস্তারিত উপাত্ত আছে আর এই সাম্প্রতিক সময়েই জলবায়ু পরিবর্তনের ধরনটা (attribution of recent climate change) সবচেয়ে স্পষ্ট। এটা মনে রাখুন যে, মনুষ্যসৃষ্ট অন্যান্য দূষনকারী বস্তুর নিঃসরণ-বিশেষত সালফেট কণা-একটি শৈত্যয়ন ক্রিয়া ঘটায়; এটা বিশেষকরে দ্বাদশ শতকের মালভুমি/শৈত্যয়নের জন্য দায়ী, যদিও এটা প্রকৃতির স্বাভাবিক জলবায়ু চক্রের কারণেও হতে পারে।
কারণসমূহ
গ্রীনহাউজ গ্যাসসমূহর প্রভাব
কার্বন ডাইঅক্সাইড এবং কার্বন মনোক্সাইড, সালফার ডাইঅক্সাইড এবং সালফারের অন্যান্য অক্সাইডসমূহ, নাইট্রিক অক্সাইড, ক্লোরোফ্লুওরো কার্বন ইত্যাদি।
গ্রীন হাউস গ্যাসগুলি পৃথিবীর স্থান থেকে তাপ বিকিরণ করে। এই তাপ, ইনফ্রারেড বিকিরণ রূপে, গ্রহের বায়ুমণ্ডলে এই গ্যাসগুলি দ্বারা শোষিত এবং নির্গত হয় ফলে নিম্ন বায়ুমন্ডল এবং পৃষ্ঠকে উষ্ণ করে। পৃথিবীতে, স্বাভাবিকভাবেই গ্রিনহাউজ গ্যাসের পরিমাণযুক্ত বায়ুমন্ডলে পৃষ্ঠের কাছে বায়ু তাপমাত্রা প্রায় 33 ডিগ্রি সেলসিয়াস (59 ডিগ্রি ফারেনহাইট) কম থাকে, যা তাদের অনুপস্থিতিতে কমাবে। পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল ছাড়া, পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা জলের তাপমাত্রার চেয়ে কম হবে। প্রধান গ্রীনহাউস গ্যাসগুলি ওয়াটার বাষ্প, যা গ্রীনহাউস প্রভাবের প্রায় 36-70% কারণ সৃষ্টি করে; কার্বন ডাই অক্সাইড (CO2), যা 9-26% কারণ; মিথেন (CH4), যা 4-9% কারণ; এবং ওজোন (O3), যা 3-7% কারণ।
সৌর তারতম্য তত্ত্ব
সূর্য পৃথিবীর প্রাথমিক শক্তি উৎস হিসাবে, আগত সূর্যালোকের পরিবর্তন সরাসরি জলবায়ু ব্যবস্থাকে প্রভাবিত করে। সৌর অনাক্রম্যতা 1978 সাল থেকে সরাসরি উপগ্রহ দ্বারা পরিমাপ করা হয়েছে, কিন্তু পরোক্ষ পরিমাপ 1600 এর দশকের শুরুর দিকে শুরু হতে পারে। সূর্যের শক্তি পৃথিবীতে পৌঁছানোর পরিমাণে কোন ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা নেই, তাই এটি বর্তমান উষ্ণায়নের জন্য দায়ী নয়। শারীরিক জলবায়ু মডেলগুলি সাম্প্রতিক দশকগুলিতে সৌর আউটপুট এবং আগ্নেয়গিরির কার্যকলাপে কেবলমাত্র বৈচিত্র্য বিবেচনা করে দ্রুত উষ্ণায়নের পুনরুৎপাদন করতে পারে না।
সমাধান
মানুষকে সচেতন হতে হবে।
গাড়ি , কারখানার ধোঁয়া ইত্যাদির ব্যবহার কমাতে হবে।
সিএফসি নির্গত হয় এমন যন্ত্রপাতির ব্যবহার কমাতে হবে।
জীবাশ্ম জ্বালানি র ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ।
সম্পর্কিত অন্যান্য বিষয়সমূহ
মহাসাগরের অম্লায়ন
বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাই অক্সাইডের বৃদ্ধি মহাসাগরগুলোতে CO2 দ্রবীভবনের হার বাড়ায়। দ্রবীভূত কার্বন ডাই অক্সাইড জল এর সাথে বিক্রিয়া করে কার্বনিক অ্যাসিড উৎপন্ন করে এবং ফলে মহাসাগরের অম্লায়ন ঘটে। যেহেতু জৈব ব্যবস্থাগুলি (biosystems) ক্ষুদ্র পরিসরে সীমাবদ্ধ পি এইচ (pH)-এ কাজ করে, এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
ওজোনস্তর ক্ষয়ের সাথে সম্পর্ক
যদিও গণমাধ্যমগুলোতে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন ও ওজোনস্তর ক্ষয় অনেক সময় পাশাপাশি উল্লেখ করা হয়, এদের মধ্যে সেরকম সরাসরি সম্পর্ক কম। এই দুইটি প্রপঞ্চ (phenomenon) মূলত পাঁচভাবে সম্পর্কিত:
কার্বন ডাই অক্সাইড বিকিরণগত চাপ (radiative forcing) প্রয়োগ করে ভূ-পৃষ্ঠের কাছাকাছি এলাকায় যে উষ্ণায়ন সৃষ্টি করে, সেই একই প্রক্রিয়া (অনেকটা অপ্রত্যাশিতভাবে) স্ট্র্যাটোমণ্ডল-কে শীতল করে। আর এই শীতলায়ন ওজোন স্তরের ক্ষয় ও ওজোন ফুটোর সংখ্যা বৃদ্ধি করে। thumb|280px|right|বিভিন্ন গ্রীনহাউজ গ্যাস ও অন্যান্য উৎসের বিকিরণগত চাপ
বিপরীতভাবে, ওজোন স্তরের ক্ষয় জলবায়ু ব্যবস্থার ওপর বিকিরণগত চাপ সৃষ্টি করে। এখানে দুইটি বিপরীত ক্রিয়া কাজ করছে: ওজোন স্তর ক্ষয়ে যাওয়ায় আরো বেশি সৌর বিকিরণ পৃথিবীতে আসতে পারে, ফলে স্ট্র্যাটোমণ্ডলের পরিবর্তে ট্রপোমণ্ডল উত্তপ্ত হয়। আবার এর ফলে শীতলীকৃত স্ট্র্যাটোমণ্ডল দীর্ঘ তরঙ্গের বিকিরণ নিচে ট্রপোমণ্ডলে পাঠায়, যা ট্রপোমণ্ডলকে শীতল করে। সব মিলিয়ে দেখা গেছে শীতলায়ন ক্রিয়ার প্রভাবই বেশি। IPCC এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে যে "বিগত দুই দশকে স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারের O3'র (Ozone) উল্লেখযোগ্য ক্ষয় ভূতলস্থ ট্রপোস্ফিয়ারে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।" of about −0.15 ± 0.10 W/m².
গ্রীনহাউস এফেক্টের একটি অন্যতম মজবুত ভবিষ্যদ্বাণী ছিলো যে, স্ট্র্যাটোমণ্ডল ঠান্ডা হয়ে যাবে। যদিও এই ঠান্ডা হয়ে যাওয়ার ব্যাপারটি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে, গ্রীনহাউস গ্যাসের কারণে সৃষ্ট পরিবর্তন এবং ওজন শূণ্যীকরণের কারণে সৃষ্ট পরিবর্তনকে আলাদা করা সহজ ব্যাপার নয়, যদিও উভয়েই এই শ্বৈতকরণে সহায়তা করবে। যাইহোক, অগণিত স্ট্র্যাটোমন্ডলীয় মডেল তৈরি করার মাধ্যমে এটা হয়তো সম্ভব হবে। নোয়া ভূতাত্ত্বিক ফ্লুইড ডায়নামিক্স গবেষণাগারের (NOAA Geophysical Fluid Dynamics Laboratory) ফলাফল দেখায় যে, 20 km (12.4 miles)-এর ঊর্ধ্বে, গ্রীণহাউস গ্যাস এই শৈতকরণ অবদমিত করছে।
ওজন শূণ্যকারী রাসায়নিক উপাদানগুলো হলো গ্রীণহাউস গ্যাস, যেগুলো representing 0.34 ±0.03 W/m², অথবা প্রায় 14% of the total radiative forcing from well-mixed গ্রীণ হাউজ গ্যাস।
ওজন হ্রাস পেলে তা অতিবেগুনীর মাত্রা বাড়ানোর দিকে নিয়ে যায়। অতিবেগুনী তেজক্রিয়তাই সম্ভবত সামুদ্রিক শ্যাওলার মৃত্যুর ধ্বংসের জন্য দায়ী, যা সমুদ্রের গভীরে ডুবন্ত কার্বন ডাইঅক্সাইডের মতো কাজ করে। তাই বাড়তি অতিবেগুনী সম্ভবত lead to a decrease in carbon dioxide uptake, আর তাতে বৈশ্বিক কার্বন ডাইঅক্সাইডের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়।
ভোক্তাবাদ যে শুধু সামাজিক বিপর্যয়ই ডেকে আনে তা নয়, পরিবেশ দূষনের পেছনেও ভোক্তাবাদ এক বড় কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন অনেক গবেষক। লেখক ও অধ্যাপক Jorge Majfud তার “ভোক্তাবাদের মহাব্যাধি” "The pandemic of consumerism" . প্রবন্ধে লিখেছেন যে “Trying to reduce environmental pollution without reducing consumerism is like combatting drug trafficking without reducing the drug addiction.” অর্থাৎ ভোক্তাবাদ না কমিয়ে পরিবেশ
ষূষন কমান হল মাদকাসক্তি না কমিয়ে মাদক পাচার কমানোর চেষ্টার মত।
মানুষ উৎপত্তির পূর্বের বৈশ্বিক উষ্ণায়ন
শিল্পায়নপূর্ব বৈশ্বিক উষ্ণায়ন
সাম্প্রতিক তথ্য
আন্তর্জাতিক সংঘটনসমূহ
বৈজ্ঞানিক
মেরু বরফসংক্রান্ত
শিক্ষামূলক
অন্যান্য
পরিশিষ্ট
পরিভাষা
Temperature record – তাপমাত্রার দলিল
Instrumental temperature record – যন্ত্রকৃত তাপমাত্রার দলিল
Urban heat island – শহুরে তাপদ্বীপ
Satellite temperature measurements – কৃত্রিম উপগ্রহকৃত তাপমাত্রা পরিমাপ
Troposphere – ট্রপোমণ্ডল
Medieval warm period – মধ্যযুগীয় উষ্ণ পর্ব
Little ice age – ক্ষুদ্র বরফযুগ
আরও দেখুন
তথ্যসূত্র
বিষয়শ্রেণী:বৈশ্বিক উষ্মায়ন
বিষয়শ্রেণী:জলবায়ু পরিবর্তন | ভূমণ্ডলীয় উষ্ণতা বৃদ্ধি |
right|thumb|180px|গ্যালিলিওকে আধুনিক জ্যোতির্বিজ্ঞানের একজন পুরোধা হিসেবে ধরা হয়ে থাকে।
জ্যোতির্বিজ্ঞানী বা জ্যোতিঃবিজ্ঞানী হচ্ছেন একজন বিজ্ঞানী যিনি জ্যোতির্বিজ্ঞান নিয়ে মৌলিক গবেষণা পরিচালনা করেন এবং জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক বা মহাজাগতিক বস্তুসমূহ যেমন গ্রহ, নক্ষত্র, ছায়াপথ ইত্যাদি পর্যবেক্ষণ করেন এবং এদের বৈশিষ্ট্য ও ধর্ম অধ্যয়ন করেন। প্রাচীনকালে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা আকাশের মহাজাগতিক বিভিন্ন বস্তু ও ঘটনার শ্রেণিবিন্যাস ও বর্ণনায় নিয়োজিত থাকতেন, পক্ষান্তরে জ্যোতিঃপদার্থবিজ্ঞানীরা পদার্থবিজ্ঞানের তত্ত্ব ও সূত্র ব্যবহার করে এই সব ঘটনার ও বস্তুর আচরণের কার্যকারণ ব্যাখ্যা করতে সচেষ্ট থাকতেন। বর্তমানকালে জ্যোতির্বিজ্ঞানী এবং জ্যোতিঃপদার্থবিজ্ঞানীদের গবেষণার ক্ষেত্র অনেকটা একই রকম হয়ে গেছে।
সাধারণত উচ্চ শিক্ষিত এবং পি এইচ ডি বা ডক্টরেট সম্মাননাপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা পেশাদার জ্যোতির্বিজ্ঞানী হিসেবে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় বা গবেষণা প্রতিষ্ঠান থেকে নিয়োগপ্রাপ্ত হন। তারা তাদের বেশিরভাগ সময় গবেষণার কাজে ব্যবহার করলেও শিক্ষাদান, গবেষণার সহযোগী যন্ত্রপাতি তৈরী এবং মানমন্দিরের কার্যক্রম পরিচালনা ইত্যাদি কাজেও অংশগ্রহণ করেন।
বিশ্বজুড়ে পেশাদার জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের সংখ্যা কম হলেও শৌখিন জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের সংখ্যা নেহায়েত কম নয়। প্রশান্ত মহাসাগরীয় জ্যোতির্বিজ্ঞান সমিতি (Astronomical Society of the Pacific) পৃথিবীর সবচেয়ে বড় জ্যোতির্বিজ্ঞান সমিতি এবং পেশাদার ও শৌখিন জ্যোতির্বিজ্ঞানী সহ বিশ্বের ৭০টি দেশে তাদের সদস্য রয়েছে। আবার বাংলাদেশ জ্যোতির্বিজ্ঞান সমিতি (Bangladesh Astronomical Society) প্রকাশিত তথ্যমতে বাংলাদেশে অগণিত জ্যোতির্বিজ্ঞান-উৎসাহী রয়েছে, (১৯৯৯ সালের ২৪ অক্টোবর প্রায় ৩০,০০০ মানুষ পূর্ণ-গ্রাস সূর্যগ্রহণ দেখতে শের-ই-বাংলা নগরের একটি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে ভীড় জমিয়েছিল
সবচেয়ে বিখ্যাত জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের নাম ও অবদান
আরও দেখুন
জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের তালিকা
শৌখিন জ্যোতির্বিজ্ঞান
জ্যোতিঃপদার্থবিজ্ঞানীদের তালিকা
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ
দ্য অ্যাস্ট্রোনোমার সাময়িকী
theWoman Astronomer!
বারবার জিজ্ঞাসিত প্রশ্নসমূহ ... জ্যোতির্বিজ্ঞানী হিসেবে বেড়ে উঠা
The Armchair Astronomer
আপনি একজন জ্যোতির্বিজ্ঞানী হতে পারেন যদি...
বিষয়শ্রেণী:জ্যোতির্বিজ্ঞানী | জ্যোতির্বিজ্ঞানী |
পুনর্নির্দেশ উইকিপিডিয়া:পরিগণনামূলক ভাষাবিজ্ঞান ও স্বাভাবিক ভাষা প্রক্রিয়াজাতকরণ পরিভাষা | গণনামূলক ভাষাবিজ্ঞান পরিভাষা |
অনেকগুলোর উজ্জ্বল তারার নামকরণ করা হয়েছে একটি বিশেষ পদ্ধতিতে, এই নামগুলোকেই বেয়ার সূচক বলা হয়। নামকরণের এই পদ্ধতিটি বিজ্ঞানী ইয়োহান বেয়ার ১৬০৩ সালে প্রকাশিত তার ইউরানোমেট্রিয়া নামক পুস্তকে উল্লেখ করেছিলেন। এই নিয়ম অনুসারে প্রতিটি তারার নামের দুটি অংশ থাকে। প্রথমে থাকে একটি গ্রিক অক্ষর এবং পরে তারাটি যে তারামণ্ডলে অবস্থিত তার জেনিটিভ নাম থাকে। গ্রিক অক্ষরটি মণ্ডলে তারার উজ্জ্বলতা এবং ক্রম দ্বারা নির্ধারিত হয়। এখানে একটি ছকে কিছু তারার বেয়ার সূচক এবং সাথে মূল নাম উল্লেখিত হল।
আরও দেখুন
:Category:বেয়ার বস্তু
ফ্ল্যামস্টিড সূচক
তারামণ্ডসমূহের তালিকা
তারা তালিকা
তারার সূচক
বিষম তারার সূচক
বিষয়শ্রেণী:তারা তালিকা
বিষয়শ্রেণী:বেয়ার বস্তু | বেয়ার সূচক |
উল্ম () জার্মানির দক্ষিণাংশে অবস্থিত একটি ছোট শহর। এটি বাডেন-ভুর্টেমবের্গ অঙ্গরাজ্যের দানিউব নদীর তীড়ে অবস্থিত। শহরটির জনসংখ্যা ২০০৬ সালের জরিপ অনুসারে প্রায় ১২০,০০০। ৮৫০ সালে প্রতিষ্ঠিত এউ শহর সমৃদ্ধ ইতিহাস ও ঐতিহ্যের অধিকারী। বিভিন্ন ধরনের শিল্প প্রতিষ্ঠানের কারণে উলম বর্তমানে বাডেন-ভাটেমবার্ক প্রদেশের অর্থনৈতিক কেন্দ্র। বিখ্যাত উলম বিশ্ববিদ্যালয় এই শহরে অবস্থিত। এছাড়াও এখানে রয়েছে একটি সুবিশাল প্রযুক্তি কেন্দ্র বা সায়েন্স পার্ক যেখানে অনেকগুলো আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান তাদের গবেষণাকর্ম চালিয়ে থাকে।সর্বোচ্চ লম্বা চার্চ এবং বিখ্যাত তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞনী আলবার্ট আইনস্টাইনের জন্মস্থান হিসেবে আন্তর্জাতিকভাবে উলম পরিচিত।
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ
দাপ্তরিক ওয়েবসাইট
উলম বিশ্ববিদ্যালয়ের দাপ্তরিক ওয়েবসাইট
বিষয়শ্রেণী:জার্মানির শহর | উল্ম |
সিরাজুল আলম খান বাংলাদেশের একজন প্রখ্যাত সাবেক ছাত্রনেতা ও রাজনীতিবিদ। তিনি বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে ১৯৬২ সনে গোপন সংগঠন ‘নিউক্লিয়াস’ গঠন করেন। নিউক্লিয়াস ‘স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী পরিষদ’ নামেও পরিচিত। এছাড়াও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ গঠন এবং ‘৭ নভেম্বর ১৯৭৫’ এর নেপথ্য পরিকল্পনাকারী ছিলেন সিরাজুল আলম খান।
জন্ম ও শিক্ষা
সিরাজুল আলম খানের জন্ম নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ থানার আলীপুর গ্রামে, ১৯৪১ সালের ৬ জানুয়ারি। তার বাবা খোরশেদ আলম খান ছিলেন স্কুল পরিদর্শক। মা সৈয়দা জাকিয়া খাতুন, গৃহিণী। ছয় ভাই ও তিন বোনের মধ্যে তিনি দ্বিতীয়। স্থানীয় স্কুলে কিছুদিন লেখাপড়া করে চলে যান বাবার কর্মস্থল খুলনায়। ১৯৫৬ সালে খুলনা জিলা স্কুল থেকে প্রথম বিভাগে এসএসসি পাস করেন। তারপর ঢাকা কলেজ থেকে ১৯৫৮ সালে এইচএসসি পাস করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গণিত বিভাগে সম্মান শ্রেণিতে ভর্তি হন। থাকতেন ফজলুল হক হলে। গণিতে স্নাতক ডিগ্রি নেয়ার পর তাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয় ‘কনভোকেশন মুভমেন্টে’ অংশগ্রহণ করার কারণে। প্রতিদিন রাত করে হলে ফিরতেন। ফলে হল থেকেও একবার বহিষ্কৃত হন। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করায় তার পক্ষে মাস্টার্স ডিগ্রি নেয়া সম্ভব হয়নি।
১৯৬১ সালে ছাত্রলীগের সহ সাধারণ সম্পাদক হন। ১৯৬৩ সালে সিরাজুল আলম খান ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। জাতীয়তাবাদী চেতনাকে বিকশিত করে বাংলাদেশীদের স্বাধীন জাতীয় রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে ’৬২ সালে ছাত্রলীগের অভ্যন্তরে যে নিউক্লিয়াস গড়ে উঠে তিনিই ছিলেন তার মূল উদ্যোক্তা। এই নিউক্লিয়াসের সদস্য ছিলেন আব্দুর রাজ্জাক ও কাজী আরেফ আহমেদ। তারপর মুক্তিযুদ্ধ শেষ হওয়া পর্যন্ত এই নিউক্লিয়াসের মাধ্যমে সকল কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেন। ছয় দফার সমর্থনে জনমত গঠনে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করেন সিরাজুল আলম খান। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা বাতিল ও বঙ্গবন্ধুর মুক্তির দাবিতে আন্দোলন ও ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র-শ্রমিকদের সম্পৃক্ত করতে প্রধান ভূমিকা পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধ শেষে স্বাধীন স্বদেশ ভূমিতে ফিরে আসলে আওয়ামী লীগ ও বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে তার বিপ্লবী জাতীয় সরকার গঠন প্রশ্নে মতভেদ দেখা দেয়। ফলে তার সিদ্ধান্ত ও তৎপরতায় গঠিত হয় নতুন রাজনৈতিক দল জাসদ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হিসাবে তিনি ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এবং পরবর্তীকালে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হন। ১৯৬৩-’৬৪ এবং ১৯৬৪-’৬৫ এই দুই বছর তিনি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ১৯৬২ সালের গঠিত নিউক্লিয়াস স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী পরিষদ নামেও পরিচিত ছিল। এটি গঠনের উদ্যোগে তাঁর প্রধান সহকর্মী ছিলেন আবদুর রাজ্জাক এবং কাজী আরেফ আহমেদ। ১৯৬২-’৭১ পর্যন্ত ছাত্র আন্দোলন, ৬-দফা আন্দোলন, আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহার আন্দোলন, ১১-দফা আন্দোলন পরিকল্পনা ও কৌশল প্রণয়ন করে এই ‘নিউক্লিয়াস’। আন্দোলনের এক পর্যায়ে গড়ে তোলা হয় ‘নিউক্লিয়াসে’র রাজনৈতিক উইং বি.এল.এফ এবং সামরিক ইউনিট ‘জয় বাংলা বাহিনী’। স্বাধীন বাংলাদেশ গড়ার আন্দোলনে ‘জয় বাংলা’ সহ সকল স্লোগান নির্ধারণ এবং বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণে “...এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম” বাক্যসমূহের সংযোজনের কৃতিত্ব ‘নিউক্লিয়াসে’র। এসব সিদ্ধান্ত গ্রহণে সিরাজুল আলম খানের ভুমিকা ছিল মুখ্য। ১৯৬৯-’৭০ সনে গণআন্দোলনের চাপে ভেঙে পড়া পাকিস্তানি শাসনের সমান্তরালে ‘নিউক্লিয়াস’র সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সংগঠন করা হয় ছাত্র-ব্রিগেড, যুব-ব্রিগেড, শ্রমিক-ব্রিগেড, নারী-ব্রিগেড, কৃষক-ব্রিগেড, সার্জেন্ট জহুর বাহিনী। এদের সদস্যরা ভেঙে পড়া পাকিস্তানি শাসনের পরিবর্তে যানবাহন চলাচল, ট্রেন-স্টীমার চালু রাখা, শিল্প-কারখানায় উৎপাদন অব্যাহত রাখা এবং থানা পর্যায়ে আইনশৃঙ্খ্লা রক্ষা করার দায়িত্ব পালন করে। নিউক্লিয়াসের সদস্যদের দ্বারা এইসব দুরূহ কাজ সাম্পাদনের জন্য কৌশল ও পরিকল্পনাও ‘নিউক্লিয়াস’র। ১৯৭০-’৭১ সন নাগাদ বাংলাদেশ লিবারেশন ফোর্স (বিএলএফ) এর সদস্য সংখ্যা দাঁড়ায় ৭ হাজারে। এদের প্রত্যেকেই মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে উন্নত সামরিক ট্রেনিংপ্রাপ্ত হন এবং ‘মুজিব বাহিনী’ নামে কার্যক্রম পরিচালনা করেন। প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের অধীনস্থ ১১টি সেক্টরের পাশাপাশি ৪টি সেক্টরে বিভক্ত করে বিএলএফ-এর সশস্ত্র সংগ্রামের পরিকল্পনা ও কৌশল ছিল কেবল ভিন্ন ধরনের নয়, অনেক উন্নতমানের এবং বিজ্ঞানসম্মত। বিএলএফ এর চার প্রধান ছিলেন শেখ ফজলুল হক মনি, সিরাজুল আলম খান, আব্দুর রাজ্জাক এবং তোফায়েল আহমেদ। ১৯৭১ সনের ১লা মার্চ ইয়াহিয়া খান আকস্মিকভাবে নির্বাচিত পাকিস্তান জাতীয় উদ্বোধনী সভা স্থগিত ঘোষণার পরপরই ২রা মার্চ বাংলাদেশর প্রথম জাতীয় পতাকা উত্তোলন, জাতীয় সঙ্গীত নির্ধারণসহ ৩রা মার্চ ‘স্বাধীনতার ইশতেহার’ ঘোষণার পরিকল্পনাও ‘নিউক্লিয়াসের। বাংলাদেশের স্বাধীনতার লক্ষ্যে এই দুটি কাজ ছিলো প্রথম দিকনির্দেশনা। আর এই দুই গুরুদায়িত্ব পালন করেন যথাক্রমে আ.স.ম আবদূর রব এবং শাজাহান সিরাজ। ১৯৭০ সনের নির্বাচনে অংশগ্রহণ এবং আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের নির্বাচিত করার দায়িত্ব পালন করে বিএলএফ। নির্বাচনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে গণআন্দোলনে গড়ে ওঠা জনমতকে সাংবিধানিক এবং প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়ে গণরায়ে পরিণত করার এই কৌশলও নির্ধারণ করে বিএলএফ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সানন্দে এই সিদ্ধান্ত মেনে নেন। আন্দোলন, নির্বাচন, সমান্তরাল প্রশাসন এবং আসন্ন সশস্ত্র সংগ্রামকে হিসাবে নিয়ে বিভিন্ন বাহিনী গড়ে তোলার কৃতিত্ব সিরাজুল আলম খানের।
জাসদ প্রতিষ্ঠা
১৯৭১ সনে স্বাধীনতার পর আন্দোলন-সংগ্রামের রূপ ও চরিত্র বদলে যায়। গড়ে ওঠে একমাত্র বিরোধী দল জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ। ১৯৭৫ সনের ৭ই নভেম্বরে অনুষ্ঠিত 'অভ্যুত্থান’ বাংলাদেশের জাতীয় ইতিহাসে এক ঘটনা। জাসদ গঠন এবং ‘অভ্যুত্থান’ এর নেপথ্য পরিকল্পনাকারী ছিলেন সিরাজুল আলম খান। আর এই দুটি বৃহৎ ঘটনার নায়ক ছিলেন মেজর জলিল, আ স ম আবদুর রব এবং লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবু তাহের।
কারাভোগ
সিরাজুল আলম খান ভিন্ন ভিন্ন তিন মেয়াদে প্রায় ৭ বছর কারাভোগ করেন। কনভোকেশন মুভমেন্টের কারণে ১৯৬৩ সালের শেষদিকে গ্রেপ্তার হন। ১৯৭৬ সালে জিয়ার আমলে আবার গ্রেপ্তার এবং ১৯৭৯ সালে মুক্তি পান। ১৯৯২ সালে বিদেশ যাবার প্রাক্কালে ঢাকা বিমানবন্দর থেকে ২৪শে মার্চ সিরাজুল আলম খানকে গ্রেপ্তার করা হলে ৪ মাস পর হাইকোর্টের রায়ে মুক্তি পান।
শিক্ষা গবেষণা
সিরাজুল আলম খানের বিশ্ববিদ্যালয় ডিগ্রী অঙ্ক শাস্ত্রে হলেও দীর্ঘ জেল জীবনে তিনি দর্শন, সাহিত্য, শিল্পকলা, রাজনীতি-বিজ্ঞান, অর্থনীতি, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, সমাজবিজ্ঞান, পরিবেশ বিজ্ঞান, সামরিক বিজ্ঞান, মহাকাশ বিজ্ঞান, সংগীত, খেলাধুলা সম্পর্কিত বিষয়ে ব্যাপক পড়াশোনা করেন। ফলে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের উপর গড়ে উঠে তার অগাধ পাণ্ডিত্য এবং দক্ষতা। সেই কারণে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা না থাকলেও তিনি রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক নিযুক্ত হন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উইসকনসিন রাজ্যের অসকস বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯৯৬-’৯৭ সনে। আর্থ-সামাজিক বিশেষনে সিরাজুল আলম খানের তাত্ত্বিক উদ্ভাবন বাংলাদেশের রাজনীতিতে এক নতুন অধ্যায়। মার্কসীয় ‘দ্বন্দ্বমূলক বস্তুবাদ’র আলোকে বাংলাদেশের জনগণকে শ্রমজীবী-কর্মজীবী-পেশাজীবী হিসাবে বিভক্ত করে ‘রাষ্ট্রীয় রাজনৈতিক’ মডেল হাজির করেছেন সিরাজুল আলম খান। চিরাচরিত পার্লামেন্টারি ধাঁচের ‘অঞ্চল ভিত্তিক’ প্রতিনিধিত্বের পাশাপাশি শ্রম, কর্ম, পেশায় নিয়োজিত সমাজ শক্তি সমূহের ‘বিষয় ভিত্তিক’ প্রতিনিত্বের ব্যবস্থা সংবলিত ‘দুই কক্ষ’ বিশিষ্ট পার্লামেন্ট গঠন, ফেডারেল সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তন, বাংলাদেশকে কয়েকটি প্রদেশে ভাগ করে প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচন এবং প্রাদেশিক সরকার গঠন, উপজেলা পর্যায়ে স্ব-শাসিত স্থানীয় সরকার পদ্ধতি চালু করার মধ্য দিয়ে ব্রিটিশ-পাকিস্তানি ঔপনিবেশিক আইন ব্যবস্থা ও শাসন কাঠামোর পরিবর্তে স্বাধীন দেশের উপযোগী শাসন ব্যবস্থা গড়ে তোলার মডেল উত্থাপন করেন তিনি। বাংলাদেশের অন্য জাতিসত্তাসমূহের স্বীকৃতির প্রয়োজনও তার চিন্তার অন্যতম বৈশিষ্ট্য। বাংলাদেশে শিল্পায়ন করার লক্ষ্যে প্রবাসীদের অর্থায়নে ‘উপজেলা শিল্প এলাকা’ এবং ‘পৌর শিল্প এলাকা’ গঠন করার তার প্রস্তাব ইতোমধ্যেই সবার দৃষ্টি আকর্ষন করেছে। নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ‘মাইক্রো ক্রেডিট’ ব্যাংকিং ব্যবস্থা এবং ‘সামাজিক ব্যবসা’-এর সমর্থক তিনি। সিরাজুল আলম খান এখন দেশে-বিদেশে ‘রাজনৈতিক তাত্ত্বিক ব্যক্তিত্ব’ হিসেবে পরিচিত।
তার দীর্ঘ ৫০ বছরের রাজনৈতিক জীবনে অসংখ্য ছাত্র-যুব নেতাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক এক বিষ্ময়কর ব্যাপার। রাজনৈতিক তত্ত্ব উদ্ভাবন এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন মডেল প্রণয়নে তার প্রধান সহযোগীরা হলেন ড. জিল্লুর রহমান খান, প্রফেসর রাজিয়া আহমেদ এবং মহিউদ্দিন আহমদ।
ব্যক্তিগত জীবন
ব্যক্তিগত জীবনে সিরাজুল আলম খান অবিবাহিত।
তথ্যসূত্র
বিষয়শ্রেণী:জীবিত ব্যক্তি
বিষয়শ্রেণী:১৯৪১-এ জন্ম
বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ
বিষয়শ্রেণী:নোয়াখালী জেলার রাজনীতিবিদ | সিরাজুল আলম খান |
কেল্টীয় ইংরেজি Celt বা Celtic শব্দের বাংলা প্রতিশব্দ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এটি নির্দেশ করতে পারে:
কেল্ট জাতি
কেল্টীয় ভাষাসমূহ, descending from the Proto-Celtic language, spoken by these people and their modern descendants
Celtici, Celts from ancient Lusitania (modern day Portugal).
Celtiberians for a Celtic people on the Iberian peninsula
Celtic mythology, Celtic polytheism, Celtic Reconstructionist Paganism and a List of Celtic deities.
Celtic horoscope
Celtic music, referring to folk music that originated from "Celtic" cultures.
Celtic art, cultural art that avoids straight lines and only occasionally uses symmetry, or knotwork that is typically recognizable by interlocking lines and figures
Celtic law
Celtic calendar
Celtic nations Ireland, Isle of Man, Northern Ireland, Scotland, Wales, Cornwall and Brittany.
Celtic Congress Seeks to promote the Celtic languages in the Celtic nations.
Celtic League (political organisation)
Celtic League (rugby union)
Pan-Celticism
Celtic Sea
Celtic Christianity
The following should only be pronounced /selt(ik)/:
Celtic F.C. of Glasgow, Scotland
Oban Celtic a shinty club from Oban, Scotland
Bloemfontein Celtic
Belfast Celtic Football Club former Irish/Northern Irish football team
Donegal Celtic Football Club Northern Irish football team
Stalybridge Celtic Football Club of Stalybridge, England
Lurgan Celtic Football Club of Lurgan, County Armagh, Northern Ireland
Boston Celtics professional basketball team in the U.S.A.
Celt (tool), a type of stone tool. | কেল্টীয় |
পুনর্নির্দেশ সত্যজিৎ রায়ের প্রাপ্ত পুরস্কার এবং মনোনয়ন তালিকা | সত্যজিত রায়ের পাওয়া পুরষ্কার |
right|thumb|256px|দ্য হার্প-একটি যন্ত্রের নাম যার নামানুসারে ন্যাবলা প্রতীকের নামরাখা হয়েছে
ন্যাবলা একটি প্রতীকের নাম, এর প্রতীকটির আকৃতি হচ্ছে: । যা দেখতে অনেকটা বাংলা বর্ণমালার "ব" অক্ষরটিকে মাত্রা ছাড়া ৯০ ডিগ্রি ঘড়ির কাটার বিপরীত দিকে ঘুড়িয়ে রাখলে যেমন টা দেখায় তেমন। নামটি হিব্রু যন্ত্র হার্প-এর গ্রিক নাম থেকে নেয়া হয়েছে। এই যন্ত্রটির আকৃতি ন্যাবলার মত। আরামায়িক ভাষা এবং হিব্রু ভাষায়ও এই ধরনের প্রতীক রয়েছে। প্রতীকটি প্রথম ব্যবহার করেন উইলিয়াম রওয়ান হ্যামিল্টন⊳ । এর অন্য একটি নাম রয়েছে; তা হল: আলটেড (ডেল্টাকে উল্টো দিক থেকে উচ্চারণ করলে এ রকম হয়: delta - alted); কারণ ন্যাবলা ডেল্টার উল্টো আকৃতিতে লিখা হয়।
এইচটিএমএল কোডের ভাষায় ন্যাবলা লিখা যায়। এক্ষেত্রে ∇ লিখলে ন্যাবলার প্রতীক হয়ে যায়। লাটেক্স কোডে এই প্রতীকের জন্য লিখতে হয়: \nabla। ইউনিকোড বা হেক্সাডেসিমেল ব্যবস্থায় এই প্রতীকের জন্য ইউ+২২০৭ আর দশমিক-সংখ্যাপদ্ধতিতে "৮৭১১" কোড দ্বারা একে চিহ্নিত করা হয়।
আরও দেখুন
স্থানাংক ব্যবস্থায় ডেল
ডেল, ভেক্টরের ব্যবকলনীয় অপারেটর
পাদটীকা
বহিঃসংযোগ
History of Nabla
The Nabla of Sir William Rowan Hamilton
A survey of the improper use of ∇ in vector analysis (1994) Tai, Chen
বিষয়শ্রেণী:গাণিতিক প্রতীক
pt:Nabla
zh:劈形算符 | ন্যাবলা |
ইন্দো-আর্য ভাষাসমূহ ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাপরিবারের সদস্য ইন্দো-ইরানীয় ভাষাসমূহের একটি শাখা।
এসআইএল ইন্টারন্যাশনালের করা ২০০৫ সালের প্রাক্কলন অনুযায়ী ২০৯ টি ইন্দো-আর্য ভাষা আছে। এদের মধ্যে হিন্দি-উর্দু মাতৃভাষীর সংখ্যা প্রায় ৫৪ কোটি, বাংলা প্রায় ২০ কোটি, পাঞ্জাবি ১০ কোটি, মারাঠি ৭ কোটি, গুজরাটি ৪ কোটি ৫০ লক্ষ, নেপালি প্রায় ৪ কোটি, ওড়িয়া প্রায় ৩ কোটি ,সিলটি প্রায় ২.৫ কোটি এবং সিন্ধি প্রায় ২ কোটি। সব মিলিয়ে ইন্দো-আর্য ভাষাসমূহের মাতৃভাষী সংখ্যা প্রায় ৯০ কোটি।
শ্রেণীবিন্যাস
উত্তরাঞ্চল আর্য
নেপালি ভাষা এই শ্রেণীর প্রধান ভাষা। এছাড়াও গাড়োয়ালি, কুমায়োনি এই শ্রেণীর অন্তর্গত।
উত্তরপশ্চিমী আর্য
পাঞ্জাবী, সিন্ধি এবং ডোগরি এই পরিবারের অন্তর্গত। এদের সম্পর্কিত ভাষাসমূহও এই শ্রেণীর অংশ।
কেন্দ্রীয় আর্য
হিন্দুস্তানি ভাষা সমূহ এই শ্রেণীর অন্তর্গত। হিন্দি ও উর্দু এবং তৎসংলগ্ন ভাষাসমূহ কেন্দ্রীয় শ্রেণীর অন্তর্গত।
পূর্বী আর্য
বাংলা, অসমীয়া, ওড়িয়া, এবং ভোজপুরি এই শ্রেণীর অন্তর্গত। ভারতবর্ষের পূর্বাঞ্চলে এই শ্রেণীর ভাষাসমূহ কথিত হয়।
দ্বৈপ্য ইন্দো আর্য
ভারত ও পাকিস্তানের কাশ্মীর অঞ্চলে এই ভাষাগোষ্ঠীর ভাষাসমূহ প্রচলিত। এদের মধ্যে কাশ্মীরি অন্যতম।
দক্ষিণী আর্য
মারাঠি, সিংহলি, ধিবেহী, এবং কোঙ্কণি এই শ্রেণীর অন্তর্গত।
পশ্চিমী আর্য
গুজরাটি, রাজস্থানী, মারোয়াড়ী, এবং রোমানি এই শ্রেণীর অন্তর্গত।
আরও দেখুন
দ্রাবিড় ভাষাসমূহ
বিষয়শ্রেণী:ইন্দো-আর্য ভাষাসমূহ | ইন্দো-আর্য ভাষাসমূহ |
কোডেক ডিজিটাল ডেটাকে এক ফরমেট থেকে অন্য ফরমেটে পরিবর্তন করে। কোডেক শব্দটি কোডার এবং ডিকোডার শব্দদুটির সমন্বয়ে গঠিত। একটি কোডার বা এনকোডারের কাজ হচ্ছে একটা ডেটাকে একটি সুনির্দিষ্ট ফরম্যাট থেকে আরেকটি সুনির্দিষ্ট ফরমেটে পরিবর্তন করা। ডিকোডারের কাজ ঠিক এর উল্টোটা করা: অর্থাৎ ডেটাকে পুরনো ফরমেটে ফিরিয়ে আনা।
ভিডিও কোডেক হচ্ছে এমন একটি সফটওয়্যার, যা সাধারণত একটি কমপ্রেস করা ভিডিওকে ডিকমপ্রেস করে এবং একটি সাধারণ ডিজিটাল ভিডিওকে কমপ্রেস করে। অধিকাংশ ভিডিও কমপ্রেশনেই ডেটা লস হয়ে থাকে (লসি কমপ্রেশন)।
ভিডিও কমপ্রেশনের একটি মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে ব্যবহৃত ডেটার আকৃতি ছোট করা। সাধারণত ভিডিও ডেটার আকার (সাইজ) খুব বড় হয়ে থাকে এবং সেটাকে সরাসরি হার্ড ডিস্কে সংরক্ষণ করা বা নেটওয়ার্কে ট্রান্সফার করা খুব কষ্টসাধ্য। তাই ভিডিও কমপ্রেশনের মাধ্যমে ছোট করে ফেলা হয় এবং সেটাকে সংরক্ষণ করা হয়। ভিডিও কমপ্রেশনের ফলে ভিডিওর আকার ছোট হলেও ক্ষতিকর যেটা হয়, তা হলো ভিডিওর মান কমে যাওয়া। ভিডিওর আকার যত বেশি কমানো হয়, ভিডিওর মানও তত বেশি খারাপ হয়ে যায়। তাই কমপ্রেশন এমন ভাবে করতে হবে, যেন ফাইলের সাইজও ধারণক্ষমতার মধ্যে থাকে, এবং ভিডিওর মানও দর্শনযোগ্য হয়।
সুপরিচিত ভিডিও এনকোডিংগুলোর মধ্যে রয়েছে: H.261, এমপেগ2, এমপেগ4, WMV ইত্যাদি।
বিষয়শ্রেণী:কোডেক
বিষয়শ্রেণী:কম্পিউটার ফাইল ফরম্যাট | ভিডিও কোডেক |
এটি এলাকার পরিমাণ অনুযায়ী ক্যারিবিয় দ্বীপসমূহের একটি তালিকা। এর সকল তথ্যের উৎস হচ্ছে উইকিপিডিয়া।
বিষয়শ্রেণী:ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জ
বিষয়শ্রেণী:পশ্চিম ভারতীয় দ্বীপপুঞ্জ
বিষয়শ্রেণী:আয়তন অনুযায়ী দ্বীপের তালিকা | আয়তন অনুযায়ী ক্যারিবীয় দ্বীপসমূহের তালিকা |
তৈমুর বিন তারাগাই বারলাস (চাগাতাই ভাষায়: تیمور - তেমোর্, "লোহা") (১৩৩৬ - ফেব্রুয়ারি, ১৪০৫) ১৪শ শতকের একজন তুর্কী-মোঙ্গল সেনাধ্যক্ষ। তিনি পশ্চিম ও মধ্য এশিয়ার বিস্তীর্ণ অঞ্চল নিজ দখলে এনে তৈমুরীয় সম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন যা ১৩৭০ থেকে ১৪০৫ সাল পর্যন্ত নেতৃত্বে আসীন ছিল। এই অপরাজেয় সমরবিদ ইতিহাসের অন্যতম সফল সেনানায়ক হিসেবে পরিগণিত হন। এছাড়াও তাঁর কারণেই তৈমুরীয় রাজবংশ প্রতিষ্ঠা লাভ করে। এই বংশ কোনো না কোনোভাবে ১৮৫৭ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে নেতৃত্বে আসীন ছিল। তিনি তিমুরে ল্যাংগ্ () নামেও পরিচিত, যার অর্থ খোঁড়া তৈমুর। তাঁর আসল নাম তৈমুর বেগ। যুদ্ধ করতে গিয়ে তিনি আহত হন, যার ফলে তাঁর একটি পা অকেজো হয়ে যায় এবং তিনি খোঁড়া বা ল্যাংড়া হয়ে যান। তিনি পূর্বপুরুষ মহান সেলযুক সাম্রাজ্যের শাসক সুলতান তুঘরিল বেগকে অনুপ্রেরণা হিসেবে অনুসরণ করতেন। তিনি তুঘরিল বেগের সরাসরি বংশধর না হলেও তুঘরিল বেগ যে অর্ঘুজ গোত্রে জন্মগ্রহণ করেছিলেন সেই অর্গুজ গোত্রেই জন্মগ্রহণ করেছিলেন। এবং তিনিও আলেকজান্ডার ও চেঙ্গিস খানের মতো বিশ্বজয়ে সৈন্যবাহিনী নিয়ে বের হয়েছিলেন। এ নিয়ে বিশ্ব বিজেতা তৈমুর লং, দিগ্বিজয়ী তৈমুর, দুনিয়া কাঁপানো তৈমুর লং নামের অনেকগুলো বইও রচিত হয়েছে। তাঁর সাম্রাজ্যের বিস্তৃতি ছিল আধুনিক তুরস্ক, সিরিয়া, ইরাক, কুয়েত, ইরান থেকে মধ্য এশিয়ার অধিকাংশ অংশ যার মধ্যে রয়েছে কাজাখস্তান, আফগানিস্তান, রাশিয়া, তুর্কমেনিস্তান, উজবেকিস্তান, কিরগিজিস্তান, পাকিস্তান, ভারতবর্ষ এমনকি চীনের কাশগর পর্যন্ত। তিনি একটি আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ রচনা করিয়ে যান যার নাম তুজুক ই তৈমুরী।
জন জোসেফ স্যান্ডার্সের মতে, তৈমুর হলেন "একটি ইসলামিক ও ইরানীয় সমাজের ফসল", এবং স্তেপ যাযাবর নয়।
চিত্রশালা
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ
তৈমুরের জীবন
টাওয়ার্স অব টেরর
আঙ্কারার যুদ্ধ
তৈমুর-ই লং -এর উত্থান
তৈমুরীয় রাজবংশ
রাজা তৈমুরের একটি স্মৃতিকথা (মালফুজাত-ই তৈমুরি) - ভারত দখলের পর তার লিখিত স্মৃতিকথা
তৈমুর লং দ্য গ্রেট: প্রথম খণ্ড
অনলাইন ব্রিটানিকা সংক্ষিপ্ত বিশ্বকোষ, ব্রিটানিকা বিশ্বকোষ তৈমুর সম্বন্ধে অন্যান্য তথ্যের জন্য
বিষয়শ্রেণী:তিমুরীয় রাজা
বিষয়শ্রেণী:পারস্যের রাজা
বিষয়শ্রেণী:মুসলিম সেনাপতি
বিষয়শ্রেণী:১৩৩৬-এ জন্ম
বিষয়শ্রেণী:১৪০৫-এ মৃত্যু
বিষয়শ্রেণী:তৈমুর
ml:തിമൂര് | তৈমুর লং |
স্যার জোসেফ জন থমসন, ওএম, এফআর, সচরাচর জে. জে. থমসন নামে পরিচিত, একজন ব্রিটিশ বিজ্ঞানী। ইলেকট্রন, আইসোটোপ এবং ভর বর্ণালীবীক্ষণ যন্ত্রের আবিষ্কারের জন্য তিনি বিখ্যাত। তিনি ১৯০৬ সালে তার এই আবিষ্কারগুলোর জন্য পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। shang hi
পুরস্কারসমূহ
রয়েল মেডেল (১৮৯৪)
হিউস মেডেল (১৯০২)
পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার (১৯০৬)
কপলি মেডেল (১৯১৪)
তথ্যসূত্র
Dahl, Per F., "Flash of the Cathode Rays: A History of J.J. Thomson's Electron". Institute of Physics Publishing. June, 1997.
JJ Thomson (1897), Cathode rays, Philosophical Magazine
JJ Thomson (1913), Rays of positive electricity, Proceedings of the Royal Society, A 89, 1-20
"On the Structure of the Atom": an Investigation of the Stability and Periods of Oscillation of a number of Corpuscles arranged at equal intervals around the Circumference of a Circle; with Application of the Results to the Theory of Atomic Structure" — J.J. Thomson's 1904 paper proposing the plum pudding model.
বহিঃসংযোগ
The Discovery of the Electron
Annotated bibliography for Joseph J. Thomson from the Alsos Digital Library
Essay on Thomson life and religious views
The Cathode Ray Tube site
বিষয়শ্রেণী:ইংরেজ পদার্থবিজ্ঞানী
বিষয়শ্রেণী:ইংরেজ গণিতবিদ
বিষয়শ্রেণী:নোবেল বিজয়ী পদার্থবিজ্ঞানী
বিষয়শ্রেণী:রয়েল সোসাইটির সভাপতি
বিষয়শ্রেণী:অর্ডার অফ মেরিটের সদস্য
বিষয়শ্রেণী:১৮৫৬-এ জন্ম
বিষয়শ্রেণী:১৯৪০-এ মৃত্যু
বিষয়শ্রেণী:কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী
বিষয়শ্রেণী:ইলিয়ট ক্রেসন মেডেল বিজয়ী
বিষয়শ্রেণী:ফ্যারাডে মেডেল বিজয়ী
বিষয়শ্রেণী:রয়েল সোসাইটির ফেলো
বিষয়শ্রেণী:কপলি পদক বিজয়ী | জে জে টমসন |
মাক্স ফন লাউয়ে জার্মান পদার্থবিজ্ঞানী যিনি ম্যাক্স প্লাঙ্ক-এর অধীনে পড়ুশোনা করেছিলেন। তার জন্ম জার্মানির Pfaffendorf-এ এবং মৃত্যু বার্লিনে। ১৯১৯ সাল থেকে বার্লিন বিশ্ববিদ্যালয়ে তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞান অধ্যাপনার কাজে নিয়োজিত ছিলেন। তিনি এক্স-রশ্মিসমূহের তরঙ্গদৈর্ঘ্য পরিমাপের একটি পদ্ধতি উদ্ভাবন করেন। এজন্য তিনি একটি কেলাসের সাহায্যে এক্স রশ্মির অপবর্তন ঘটিয়েছিলেন। এই পদ্ধতি দ্বারা পরবর্তীতে কেলাসের গঠন সম্পর্কেও অনেক তথ্য বের করা সম্ভবপর হয়। এই বিজ্ঞান বর্তমানে এক্স-রে ক্রিস্টালোগ্রাফি নামে পরিচিত। তার এই গবেষণা কর্মের জন্যই নোবেল পুরস্কার পান।
টীকা
বহিঃসংযোগ
মাক্স ফন লাউয়ে সম্পর্কে আরও জানুন
মাক্স ফন লাউয়ের জীবনী
বিষয়শ্রেণী:১৮৭৯-এ জন্ম
বিষয়শ্রেণী:১৯৬০-এ জন্ম
বিষয়শ্রেণী:জার্মান পদার্থবিজ্ঞানী
বিষয়শ্রেণী:নোবেল বিজয়ী পদার্থবিজ্ঞানী
বিষয়শ্রেণী:জার্মান নোবেল বিজয়ী
বিষয়শ্রেণী:হামবোল্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী
বিষয়শ্রেণী:হামবোল্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক
বিষয়শ্রেণী:মাক্স প্লাংক পদক বিজয়ী | মাক্স ফন লাউয়ে |
পুনর্নির্দেশ র্যনে দেকার্ত | ডেকার্টে |
মেগাস্থিনিস (৩৫০ খ্রি.পূ. - ২৯০ খ্রি.পূ.) প্রাচীন গ্রীসের একজন পর্যটক এবং ভূগোলবিদ। তিনি এশিয়া মাইনরে জন্মগ্রহণ করেন। পরবর্তীতে সিরিয়ার রাজা সেলিয়াকাস ১-এর রাজকীয় দূত হিসেবে ভারতীয় রাজা চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের (স্যান্ড্রাকোটাস) রাজদরবারে দায়িত্ব পালন করেন। তখন চন্দ্রগুপ্তের রাজদরবার ছিল ভারতের পাটালিপুত্র নামক স্থানে। ঠিক কোন সময়ে তিনি দূতের দায়িত্ব পালন করেছেন তা নিশ্চিত করে বলা যায় না। অধিকাংশ বিশেষজ্ঞের মতে সময়টা ২৮৮ খ্রিস্টপূর্বাব্দের পূর্বে; কারণ এই সালে চন্দ্রগুপ্ত মারা যান।
ভারত ভ্রমণ
তার ভারত ভ্রমনে সম্বন্ধে অনেক তথ্যই জানা যায়। তিনি Pentapotamia জেলা দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেন যার নদী সম্পর্কে তিনি অনেক কথাই বলেছেন। সিন্ধু নদের পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ অংশের একটি ছিল এই নদী যা পাঞ্জাব অঞ্চলের একাংশ গঠন করেছে। এই জেলা থেকে রাজপথ বরাবর যাত্রা করে তিনি পাটালিপুত্রে পৌঁছেন। এরিয়ান ব্যাখ্যা করেন যে মেগাস্থিনিস আরাকোশিয়া-তে বসবাস করতেন এবং সেখান থেকেই ভারত ভ্রমনে আসেন।
"Megasthenes lived with Sibyrtius, satrap of Arachosia, and often speaks of his visiting Sandracottus, the king of the Indians." Arrian, Anabasis Alexandri
রচনাবলী
ইন্ডিকা; এর ইংরেজি অনুবাদ রয়েছে: Ancient India as Described by Megasthenes and Arrian -অরুবাদক ও সম্পাদক, J. W. McCrindle
আরও দেখুন
মেগাস্থিনিস বর্ণীত জাতিসমূহsaptajati
বহিঃসংযোগ
Surviving text of Indika
তথ্যসূত্র
বিষয়শ্রেণী:৩৫০-এ জন্ম
বিষয়শ্রেণী:২৯০-এ মৃত্যু
বিষয়শ্রেণী:প্রাচীন গ্রিক ভূগোলবিদ
বিষয়শ্রেণী:পাকিস্তানের ইতিহাস
বিষয়শ্রেণী:ভারতের ইতিহাস-রচনা | মেগাস্থিনিস |
বেদ (সংস্কৃত: , "জ্ঞান") হল প্রাচীন ভারতে লিপিবদ্ধ তত্ত্বজ্ঞান-সংক্রান্ত একাধিক গ্রন্থের একটি বৃহৎ সংকলন। বৈদিক সংস্কৃত ভাষায় রচিত বেদই সংস্কৃত সাহিত্যের প্রাচীনতম নিদর্শন এবং সনাতন ধর্মের সর্বপ্রাচীন পবিত্র ধর্মগ্রন্থ। সনাতনরা বেদকে "অপৌরুষেয়" ("পুরুষ" দ্বারা কৃত নয়, অলৌকিক) এবং "নৈর্বক্তিক ও রচয়িতা-শূন্য" (যা সাকার নির্গুণ ঈশ্বর-সম্বন্ধীয় এবং যার কোনও রচয়িতা নেই) মনে করেন।
বেদকে শ্রুতি (যা শ্রুত হয়েছে) সাহিত্যও বলা হয়। এইখানেই সনাতন ধর্মের অন্যান্য ধর্মগ্রন্থগুলির সঙ্গে বেদের পার্থক্য। কারণ, সনাতন ধর্মের অন্যান্য ধর্মগ্রন্থগুলিকে বলা হয় স্মৃতি (যা স্মরণধৃত হয়েছে) সাহিত্য। প্রচলিত মতে বিশ্বাসী সনাতন ধর্মতত্ত্ববিদদের মতে, বেদ প্রাচীন ঋষিদের গভীর ধ্যানে প্রকাশিত হয়েছিল এবং প্রাচীনকাল থেকেই এই শাস্ত্র অধিকতর যত্নসহকারে রক্ষিত হয়ে আসছে। সনাতন মহাকাব্য মহাভারতে ব্রহ্মাকে বেদের স্রষ্টা বলে উল্লেখ করা হয়েছে। যদিও বৈদিক স্তোত্রগুলিতে বলা হয়েছে, একজন সূত্রধর যেমন নিপূণভাবে রথ নির্মাণ করেন, ঠিক তেমনই ঋষিগণ দক্ষতার সঙ্গে বেদ গ্রন্থনা করেছেন।
বেদে মোট মন্ত্র সংখ্যা ২০৪৩৪টি।
বেদের সংখ্যা চার: ঋগ্বেদ, যজুর্বেদ, সামবেদ ও অথর্ববেদ। প্রত্যেকটি বেদ আবার চারটি প্রধান ভাগে বিভক্ত: সংহিতা (মন্ত্র ও আশীর্বচন), আরণ্যক (ধর্মীয় আচার, ধর্মীয় ক্রিয়াকর্ম, যজ্ঞ ও প্রতীকী যজ্ঞ), ব্রাহ্মণ (ধর্মীয় আচার, ধর্মীয় অনুষ্ঠান ও যজ্ঞাদির উপর টীকা) ও উপনিষদ্ (ধ্যান, দর্শন ও আধ্যাত্মিক জ্ঞান-সংক্রান্ত আলোচনা)। কোনও কোনও গবেষক উপাসনা (পূজা) নামে একটি পঞ্চম বিভাগের কথাও উল্লেখ করে থাকেন।
ভারতীয় দর্শনের বিভিন্ন শাখা ও সনাতন ধর্মের বিভিন্ন সম্প্রদায় বেদ সম্পর্কে ভিন্ন ভিন্ন অবস্থান গ্রহণ করে থাকে। ভারতীয় দর্শনের যে সকল শাখা বেদের প্রামাণ্যতা স্বীকার করে এবং বেদকেই তাদের শাস্ত্রের প্রমাণ হিসেবে গ্রহণ করে, সেগুলিকে "আস্তিক" শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত করা হয়। অন্যদিকে ভারতীয় দর্শনের লোকায়ত, চার্বাক, আজীবক, বৌদ্ধ ও জৈন প্রভৃতি অন্যান্য শ্রামণিক শাখায় বেদের প্রামাণ্যতা স্বীকৃত নয়। এগুলিকে "নাস্তিক" শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত করা হয়। মতপার্থক্য থাকলেও শ্রামণিক ধারার গ্রন্থগুলির মতো বেদের বিভিন্ন স্তরের বিভাগগুলিতেও একই চিন্তাভাবনা ও ধারণাগুলি আলোচিত হয়েছে।
বেদের বিভাজন
বর্তমানে বেদকে ব্যাবহারিক ও গাঠণিক—এই দুই পদ্ধতির বিভাজনে বিভাজিত অবস্থায় পাওয়া যায়। উভয় পদ্ধতিতেই বেদ চার ভাগে বিভক্ত।
ব্যাবহারিক বিভাজন
ব্যাবহারিক বিভাজনগুলো যথাক্রমে ঋক, সাম, যজু্ঃ ও অথর্ব। বৈদিক ধর্মগ্রন্থ বা শ্রুতি সংহিতা নামে পরিচিত চারটি প্রধান সংকলনকে কেন্দ্র করে লিপিবদ্ধ হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম তিনটি ঐতিহাসিক বৈদিক ধর্মের যজ্ঞ অনুষ্ঠান-সংক্রান্ত:
ঋগ্বেদ অংশে হোতার বা প্রধান পুরোহিত কর্তৃক পঠিত মন্ত্র সংকলিত হয়েছে;
যজুর্বেদ অংশে অধ্বর্যু বা অনুষ্ঠাতা পুরোহিত কর্তৃক পঠিত মন্ত্র সংকলিত হয়েছে;
সামবেদ অংশে উদ্গাতার বা মন্ত্রপাঠক পুরোহিত কর্তৃক গীত স্তোত্রগুলি সংকলিত হয়েছে;
অথর্ববেদ অংশে মারণ, উচাটন, বশীকরণ সংক্রান্ত মন্ত্রগুলি সংকলিত হয়েছে।
বেদের প্রতিটি পদ মন্ত্র নামে পরিচিত। কোনো কোনো বৈদিক মন্ত্র আধুনিক কালে প্রার্থনা সভা, ধর্মীয় অনুষ্ঠান বা অন্যান্য অনুষ্ঠানে পাঠ করা হয়ে থাকে।
ঋগ্বেদ
পবিত্র ঋগ্বেদ হচ্ছে সবচেয়ে প্রাচীনতম বেদ এবং অতি গুরুত্বপূর্ণ জীবিত ভারতীয় লেখা। এই গ্রন্থটি মূলত ১০টি মণ্ডলে () বিভক্ত যা ১,০২৮টি বৈদিক সংস্কৃত সূক্তের সমন্বয়। ঋগ্বেদে মোট ১০,৫৫২টি ‘ঋক’ বা ‘মন্ত্র’ রয়েছে। ‘ঋক’ বা স্তুতি গানের সংকলন হল ঋগ্বেদ সংহিতা।
ঈশ্বর, দেবতা ও প্রকৃতি বিষয়ক আলোচনা ঋগবেদে প্রাধান্য পেয়েছে।
যজুর্বেদ
যজুর্বেদ (, , যজুস্ বা গদ্য মন্ত্র ও বেদ বা জ্ঞান থেকে) হল গদ্য মন্ত্রসমূহের বেদ। যজুর্বেদ বৈদিক সংস্কৃত ভাষায় রচিত একটি প্রাচীন ধর্মগ্রন্থ। যজ্ঞের আগুনে পুরোহিতের আহুতি দেওয়ার ও ব্যক্তিবিশেষের পালনীয় আচার-অনুষ্ঠানগুলির পদ্ধতি এই গ্রন্থে সংকলিত হয়েছে। যজুর্বেদ হিন্দুধর্মের সর্বোচ্চ ধর্মগ্রন্থ বেদের একটি ভাগ। ঠিক কোন শতাব্দীতে যজুর্বেদ সংকলিত হয়েছিল, তা জানা যায় না। তবে গবেষকদের মতে, আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ১২০০ থেকে ১০০০ অব্দ নাগাদ, অর্থাৎ সামবেদ ও অথর্ববেদ সংকলনের সমসাময়িক কালে এই বেদও সংকলিত হয়।
সামবেদ
সামবেদ () (সামন্ বা গান ও বেদ বা জ্ঞান থেকে) হল সংগীত ও মন্ত্রের বেদ। সামবেদ হিন্দুধর্মের সর্বপ্রধান ধর্মগ্রন্থ বেদের দ্বিতীয় ভাগ। এটি বৈদিক সংস্কৃত ভাষায় রচিত। সামবেদে ১,৮৭৫টি মন্ত্র রয়েছে। এই শ্লোকগুলি মূলত বেদের প্রথম ভাগ ঋগ্বেদ থেকে গৃহীত। এটি একটি প্রার্থনামূলক ধর্মগ্রন্থ। বর্তমানে সামবেদের তিনটি শাখার অস্তিত্ব রয়েছে। এই বেদের একাধিক পাণ্ডুলিপি ভারতের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আবিষ্কৃত হয়েছে।
গবেষকেরা সামবেদের আদি অংশটিকে ঋগ্বৈদিক যুগের সমসাময়িক বলে মনে করেন। তবে এই বেদের যে অংশটির অস্তিত্ব এখনও পর্যন্ত রয়েছে, সেটি বৈদিক সংস্কৃত ভাষার পরবর্তী-ঋগ্বৈদিক মন্ত্র পর্যায়ে রচিত। এই অংশের রচনাকাল আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ১২০০ থেকে ১০০০ অব্দের মাঝামাঝি কোনো এক সময়। তবে সামবেদ যজুর্বেদ ও অথর্ববেদের সমসাময়িক কালে রচিত।
অথর্ববেদ
অথর্ববেদ (, অথর্বণ ও বেদ শব্দের সমষ্টি) হল হিন্দুধর্মের সর্বোচ্চ ধর্মগ্রন্থ বেদের চতুর্থ ভাগ। ‘অথর্ববেদ’ শব্দটি সংস্কৃত ‘অথর্বণ’ (দৈনন্দিন জীবনযাত্রার প্রণালী) ও ‘বেদ’ (জ্ঞান) শব্দ-দু’টির সমষ্টি। অথর্ববেদ বৈদিক সাহিত্যের পরবর্তীকালীন সংযোজন।। অথর্ববেদ বৈদিক সংস্কৃত ভাষায় রচিত। ২০টি খণ্ডে বিভক্ত এই গ্রন্থে ৭৩০টি স্তোত্র ও প্রায় ৬,০০০ মন্ত্র আছে। অথর্ববেদের এক-ষষ্ঠাংশ স্তোত্র ঋগ্বেদ থেকে সংকলিত। ১৫শ ও ১৬শ খণ্ড ব্যতীত এই গ্রন্থের স্তোত্রগুলি নানাপ্রকার বৈদিক ছন্দে রচিত। এই গ্রন্থের দুটি পৃথক শাখা রয়েছে। এগুলি হল পৈপ্পলাদ ও শৌনকীয়। এই শাখাদুটি আজও বর্তমান। মনে করা হয় যে, পৈপ্পলাদ শাখার নির্ভরযোগ্য পাণ্ডুলিপিগুলি হারিয়ে গিয়েছে। তবে ১৯৫৭ সালে ওড়িশা থেকে একগুচ্ছ সুসংরক্ষিত তালপাতার পাণ্ডুলিপি আবিষ্কৃত হয়।
গাঠণিক বিভাজন
এ বিভাজনগুলো হচ্ছে মন্ত্র বা সংহিতা, ব্রাহ্মণ, আরণ্যক ও উপনিষদ্। মন্ত্রাংশ প্রধানত পদ্যে রচিত, কেবল যজুঃসংহিতার কিছু অংশ গদ্যে রচিত। এটাই বেদের প্রধান অংশ।
সংহিতা
সংহিতা (আক্ষরিক অর্থে, “একত্রিত, মিলিত, যুক্ত” এবং “নির্দিষ্ট পদ্ধতি ও নিয়ম অনুসারে একত্রিত গ্রন্থ বা মন্ত্র-সংকলন) হিন্দুধর্মের সর্বোচ্চ ধর্মগ্রন্থ বেদের প্রাচীনতম অংশটিকেও ‘সংহিতা’ বলা হয়। এই অংশটি হল মন্ত্র, স্তোত্র, প্রার্থনা, প্রার্থনা-সংগীত ও আশীর্বচনের সংকলন। বৈদিক সংহিতাগুলির কিছু অংশ হিন্দুধর্মের প্রাচীনতম অংশ যা আজও প্রচলিত আছে।
ব্রাহ্মণ
বেদের দুটি অংশ—মন্ত্র ও ব্রাহ্মণ। বেদের যে অংশে মন্ত্রের আলোচনা ও যজ্ঞে তার ব্যবহার সম্পর্কে আলোচিত হয়েছে তাকে ব্রাহ্মণ বলে।এটি গদ্যে রচিত। আরণ্যক বনবাসী তপস্বীদের যোগ্য ভিত্তিক বিভিন্ন ধ্যানের বর্ণনা। এটি কর্ম ও জ্ঞান উভয়ই।
উপনিষদ
এটি বেদের সম্পূর্ণরূপে একটি জ্ঞান। এই অংশটিতে একটি সহমর্মিতা দেওয়া হয়েছে। পরম সত্যের উপলব্ধি করাই উপনিষদে পন্থাই শ্রেষ্ঠ। আমাদের শিক্ষা দেয় উপনিষদ। হর্স নন্দের ভাষায় উপনিষদগুলি হল দার্শনিক নিবন্ধ এদের উপজীব্য বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের অন্তরালবর্তী সত্যবতী আর মানুষের প্রকৃত স্বরূপ জীবনের উদ্দেশ্য ও সেই উদ্দেশ্য সাধনে উপায়ে প্রভৃতি বিশেষ বিষয়ক ভাবে প্রকাশিত হয়।
বেদের বিষয়
এতে আছে দেবস্তুতি, প্রার্থনা ইত্যাদি। ঋক্ মন্ত্রের দ্বারা যজ্ঞে দেবতাদের আহ্বান করা হয়, যজুর্মন্ত্রের দ্বারা তাদের উদ্দেশে আহুতি প্রদান করা হয় এবং সামমন্ত্রের দ্বারা তাদের স্তুতি করা হয়। ব্রাহ্মণ মূলত বেদমন্ত্রের ব্যাখ্যা। এটি গদ্যে রচিত এবং প্রধানত কর্মাশ্রয়ী। আরণ্যক কর্ম-জ্ঞান উভয়াশ্রয়ী এবং উপনিষদ্ বা বেদান্ত সম্পূর্ণরূপে জ্ঞানাশ্রয়ী। বেদের বিষয়বস্তু সাধারণভাবে দুই ভাগে বিভক্ত কর্মকাণ্ড ও জ্ঞানকাণ্ড। কর্মকাণ্ডে আছে বিভিন্ন দেবদেবী ও যাগযজ্ঞের বর্ণনা এবং জ্ঞানকাণ্ডে আছে ব্রহ্মের কথা। কোন দেবতার যজ্ঞ কখন কিভাবে করণীয়, কোন দেবতার কাছে কি কাম্য, কোন যজ্ঞের কি ফল ইত্যাদি কর্মকাণ্ডের আলোচ্য বিষয়। আর ব্রহ্মের স্বরূপ কি, জগতের সৃষ্টি কিভাবে, ব্রহ্মের সঙ্গে জীবের সম্পর্ক কি এসব আলোচিত হয়েছে জ্ঞানকাণ্ডে। জ্ঞানকাণ্ডই বেদের সারাংশ। এখানে বলা হয়েছে যে, ব্রহ্ম বা ঈশ্বর এক, তিনি সর্বত্র বিরাজমান, তারই বিভিন্ন শক্তির প্রকাশ বিভিন্ন দেবতা। জ্ঞানকাণ্ডের এই তত্ত্বের ওপর ভিত্তি করেই পরবর্তীকালে ভারতীয় দর্শনচিন্তার চরম রূপ উপনিষদের বিকাশ ঘটেছে।
এসব ছাড়া বেদে অনেক সামাজিক বিধিবিধান, রাজনীতি, অর্থনীতি, শিক্ষা, শিল্প, কৃষি, চিকিৎসা ইত্যাদির কথাও আছে। এমনকি সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনের কথাও আছে। বেদের এই সামাজিক বিধান অনুযায়ী সনাতন হিন্দু সমাজ ও হিন্দুধর্ম রূপ লাভ করেছে। হিন্দুদের বিবাহ, অন্তেষ্টিক্রিয়া ইত্যাদি ক্ষেত্রে এখনও বৈদিক রীতিনীতি যথাসম্ভব অনুসরণ করা হয়।ঋগ্বেদ থেকে তৎকালীন নারীশিক্ষা তথা সমাজের একটি পরিপূর্ণ চিত্র পাওয়া যায়। অথর্ববেদ থেকে পাওয়া যায় তৎকালীন চিকিৎসাবিদ্যার একটি বিস্তারিত বিবরণ। এসব কারণে বেদকে শুধু ধর্মগ্রন্থ হিসেবেই নয়, প্রাচীন ভারতের রাজনীতি, অর্থনীতি, সমাজ, সাহিত্য ও ইতিহাসের একটি দলিল হিসেবেও গণ্য করা হয়।
সমালোচনা
হিন্দুধর্মের বহু বিশ্লেষক দাবি করেন যে, হিন্দুধর্ম সমসাময়িক সকল ধর্মের উপাদানকে নিজেদের মধ্যে আত্মস্থ করে থাকে এবং হিন্দুধর্মের বেদ, পুরাণ সহ বহু ধর্মগ্রন্থে বৌদ্ধধর্ম, জৈনধর্ম ও শিখধর্মের উপাদান রয়েছে এবং তা উল্লেখযোগ্য পরিমাণে গ্রিক ধর্ম ও জরাথুস্ট্রবাদের যেন আবেস্তা নামক ধর্মগ্রন্থ হতে ধর্মীয় উপাদান গ্রহণ করেছে, যেমনঃ অহুর থেকে অসুর, দায়েব থেকে দেব, আহুরা মাজদা থেকে একেশ্বরবাদ, বরুণ, বিষ্ণু ও গরুদ, অগ্নিপুজা, হোম নামক পানীয় থেকে সোম নামক স্বর্গীয় সুধা, ভারতীয় ও পারসিকদের বাকযুদ্ধ থেকে দেবাসুরের যুদ্ধ, আর্য থেকে আর্য, মিত্রদেব, দিয়াউসপিত্র দেব (বৃহস্পতি দেব), ইয়াস্না থেকে ইয়জ্ন বা যজ্ঞ, নারীয়সঙ্ঘ থেকে নরাশংস(মানুষের মাঝে প্রশংসিত জন) , অন্দ্র থেকে ইন্দ্র, গান্দারেওয়া থেকে গন্ধর্ব, বজ্র, বায়ু, মন্ত্র, যম, আহুতি, হুমাতা থেকে সুমতি ইত্যাদি।
আরও দেখুন
ধর্মগ্রন্থ
পুরাণ
গীতা
রামায়ণ
মহাভারত
ত্রিপিটক
কুরআন
বাইবেল
তাওরাত
তথ্যসূত্র
টীকা
বহিঃসংযোগ
অনলাইনে চার বেদ
বিষয়শ্রেণী:হিন্দু ধর্ম
বিষয়শ্রেণী:বেদ
বিষয়শ্রেণী:ধর্মগ্রন্থ
বিষয়শ্রেণী:হিন্দু ধর্মগ্রন্থ | বেদ |
পুনর্নির্দেশ মুহাম্মাদের স্ত্রীগণ | মুহাম্মাদের বিয়ে |
পুনর্নির্দেশ কৃষ্ণগহ্বর | কৃষ্ণ গহ্বর |
thumb|300px|উদ্ভিদকোষে প্লাষ্টিড
প্লাস্টিড' (গ্রীক: πλαστός) হলো ঝিল্লি-আবদ্ধ অঙ্গাণু৷ এটি উদ্ভিদ কোষে পাওয়া যায় এবং কিছু ইউক্যারিওটিক জীবেও পাওয়া যায়। এরা এন্ডোসাইম্বিয়টিক সায়ানোব্যাকটেরিয়া হিসাবে বিবেচিত হয়৷ প্লাস্টিড আর্নস্ট হেকেল আবিষ্কার করেছিলেন এবং তিনি তার নাম দিয়েছিলেন, তবে এ.এফ.ডব্লিউ শিম্পার প্রথম স্পষ্ট সংজ্ঞা দিয়েছিলেন।
কাজ
প্লাস্টিডের প্রধান কাজ খাদ্য প্রস্তুত করা, খাদ্য সঞ্চয় করা এবং উদ্ভিদ দেহকে বর্ণময় ও আকর্ষণীয় করা৷ বিভিন্ন ধরনের কীট প্রতঙ্গ কে আকৃষ্ট করে অর্থাৎ পরাগায়ণে সাহায্য করাই হলো প্লাস্টিডের কাজ। এছাড়া ক্রমপ্লাস্টিড সবুজ রঙের হয়ে থাকে।
উদ্ভিদে
300px|থাম্ব
থাম্ব|300px
উদ্ভিদে, প্লাস্টিডগুলোর বিভিন্ন অবস্থার মধ্যে পার্থক্য হতে পারে, তারা কোষে অবদানের জন্য কোন ফাংশন উপর নির্ভর করে। অবিচ্ছিন্ন প্লাস্টিডস (প্রোপ্লাস্টিডস) নিম্নলিখিত যে কোনো রূপে বিকাশ হতে পারে:
ক্লোরোপ্লাস্ট: সবুজ প্লাস্টিড সালোকসংশ্লেষের জন্য৷
ক্রোমোপ্লাস্ট: রঙ্গক পদার্থ সংশ্লেষণ এবং জমা করে রাখে৷
লিউকোপ্লাস্ট: এতে কোন রঞ্জক পদার্থ নেই। এতে সূর্যের আলো পৌছায়ন না। আলোর স্পর্শ পেলে ক্রোমোপাস্টের পরিনত হতে পারে।
তথ্যসূত্র
বিষয়শ্রেণী:কোষ জীববিজ্ঞান | প্লাস্টিড |
ইয়োহানেস স্টার্ক বিংশ শতাব্দীর বিখ্যাত জার্মান পদার্থবিজ্ঞানী। তিনি ১৯১৯ সালে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। জার্মানির বাভারিয়াতে তার জন্ম। আইজাক নিউটনের পদার্থবিজ্হানের কিছু বিষয় নিয়ে গবেষণা করে তিনি ডক্টরেট ডিগ্রী লাভ করেন। মিউনিখ বিশ্ববিদ্যালয়ে তার অধ্যয়নের মূল বিষয় ছিল গণিত, রসায়ন এবং ক্রিস্টালোগ্রাফি। পদার্থবিজ্ঞানে তার শ্রেষ্ঠ অবদান হিসেবে স্বীকৃত হয় স্টার্ক ক্রিয়া আবিষ্কার। ১৯১৩ সালে তিনি এই আবিষ্কার করেন। এর জন্যই নোবেল পুরস্কার লাভ করেছিলেন।
প্রকাশনা
Die Entladung der Elektricität von galvanisch glühender Kohle in verdünntes Gas. (Sonderabdruck aus 'Annalen der Physik und Chemie', Neue Folge, Band 68). Leipzig, 1899
Der elektrische Strom zwischen galvanisch glühender Kohle und einem Metall durch verdünntes Gas. (Sonderabdruck aus 'Annalen der Physik und Chemie', Neue Folge, Band 68). Leipzig, 1899
Aenderung der Leitfähigkeit von Gasen durch einen stetigen elektrischen Strom. (Sonderabdruck aus 'Annalen der Physik', 4. Folge, Band 2). Leipzig, 1900
Ueber den Einfluss der Erhitzung auf das elektrische Leuchten eines verdünnten Gases. (Sonderabdruck aus 'Annalen der Physik', 4. Folge, Band 1). Leipzig, 1900
Ueber elektrostatische Wirkungen bei der Entladung der Elektricität in verdünnten Gasen. (Sonderabdruck aus 'Annalen der Physik', 4. Folge, Band 1). Leipzig, 1900
Kritische Bemerkungen zu der Mitteilung der Herren Austin und Starke über Kathodenstrahlreflexion. Sonderabdruck aus 'Verhandlungen der Deutschen Physikalischen Gesellschaft', Jahrgang 4, Nr. 8). Braunschweig, 1902
Prinzipien der Atomdynamik. 1. Teil. Die elektrischen Quanten., 1910
Schwierigkeiten für die Lichtquantenhypothese im Falle der Emission von Serienlinien. (Sonderabdruck aus 'Verhandlungen der Deutschen Physikalischen Gesellschaft', Jg. XVI, Nr 6). Braunschweig, 1914
Bemerkung zum Bogen - und Funkenspektrum des Heliums. (Sonderabdruck aus 'Verhandlungen der Deutschen Physikalischen Gesellschaft.', Jg. XVI, Nr. 10). Braunschweig, 1914
Folgerungen aus einer Valenzhypothese. III. Natürliche Drehung der Schwingungsebene des Lichtes. (Sonderabdruck aus `Jahrbuch der Radioaktivität und Elektronik', Heft 2, Mai 1914), Leipzig, 1914
Methode zur gleichzeitigen Zerlegung einer Linie durch das elektrische und das magnetische Feld. (Sonderabdruck aus 'Verhandlungen der Deutschen Physikalischen Gesellschaft.', Jg. XVI, Nr. 7). Braunschweig, 1914
Die gegenwärtige Krise der deutschen Physik, ("The Thoroughgoing Crisis in German Physics") 1922
Natur der chemischen Valenzkräfte, 1922
Hitlergeist und Wissenschaft, 1924 zusammen mit Philipp Lenard
Die Axialität der Lichtemission und Atomstruktur, Berlin 1927
Atomstrukturelle Grundlagen der Stickstoffchemie., Leipzig, 1931
Nationalsozialismus und Katholische Kirche, ("National Socialism and the Catholic Church") 1931
Nationalsozialismus und Katholische Kirche. II. Teil: Antwort auf Kundgebungen der deutschen Bischöfe., 1931
Nationale Erziehung, 1932
Nationalsozialismus und Wissenschaft ("National Socialism and Science") 1934
Physik der Atomoberfläche, 1940
Jüdische und deutsche Physik, ("Jewish and German Physics") with Wilhelm Müller, written at the University of Munich in 1941
Nationale Erziehung, Zentrumsherrschaft und Jesuitenpolitik, undated
Hitlers Ziele und Persönlichkeit ("Hitler's Aims and Personality"), undated
বহিঃসংযোগ
নোবেল জীবনী
স্টার্ক কর্তৃক ১৯৩২ সালে লিখিত "Hitler's Aims and Personality" বইয়ের ছবি
বিষয়শ্রেণী:১৮৭৪-এ জন্ম
বিষয়শ্রেণী:১৯৫৭-এ মৃত্যু
বিষয়শ্রেণী:জার্মান পদার্থবিজ্ঞানী
বিষয়শ্রেণী:জার্মান নোবেল বিজয়ী | ইয়োহানেস ষ্টার্ক |
মোহাম্মদ আবদুল জব্বার (জন্ম : ১৯১৫ - মৃত্যু : জুলাই ২০, ১৯৯৩) বাংলাদেশে জ্যোতির্বিজ্ঞান চর্চার অগ্রদূত। তিনিই প্রথম বাংলায় আকাশের তারাসমূহের ছক তৈরি করেন। তার সার্বিক তত্ত্বাবধানে ও পরিকল্পনায়ই বাংলাদেশের প্রথম খ-গোলক নির্মিত হয়। পেশাগত জীবনে তিনি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ছিলেন। তিনি বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন।
জন্ম ও শৈশব
মোহাম্মদ আবদুল জব্বার ১৯১৫ সালে পাবনা জেলার সুজানগর থানার গোপালপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। অসাধারণ মেধাশক্তি ও ফলাফলের জন্য তিনি প্রাথমিক শিক্ষা থেকে একেবারে মাধ্যমিক পর্যন্ত বৃত্তি পান। ১৯৩৮ সালে কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে বিশুদ্ধ গণিতে অনার্সসহ এম.এস.সি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। এ পরীক্ষায় তিনি প্রথম বিভাগে প্রথম স্থান লাভ করেছিলেন। এরপর ১৯৩৯ সালে ভারত সরকারের বৃত্তি নিয়ে পড়াশোনা করতে লন্ডন যান। কিন্তু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণে তাকে ভারত সরকারের নির্দেশেই ফিরে আসতে হয়। দেশে ফিরে ১৯৪১ থেকে ১৯৪৩ সাল পর্যন্ত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে গণিত বিভাগে প্রভাষক হিসেবে চাকরি করেন। এরপর যোগ দেন চট্টগ্রাম কলেজে এবং সেখান থেকে প্রেসিডেন্সি কলেজে।
১৯৪৮ সালে গণিত বিভাগের প্রধান হিসেবে তৎকালীন আহসানউল্লাহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে (বর্তমান বুয়েট) যোগ দেন। এখানে প্রায় পনের বছর গণিত বিভাগের প্রধান পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। শিক্ষকতার জীবনের শেষদিকে এসে তিনি প্রশাসনিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণের দায়িত্ব পান। ১৯৬২ সালে আহসানউল্লাহ ইঞ্জনিয়ারিং কলেজ পূর্ব পাকিস্তান প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত হয়। মোহাম্মদ আবদুল জব্বার এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম রেজিস্ট্রার পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। ১৯৬৮ সালে তিনি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র কল্যাণ পরিচালক পদে নিযুক্ত হন এবং এই পদ থেকেই ১৯৮০ সালে অবসর গ্রহণ করেন। ১৯৮৪ সালে আবার এই বিশ্ববিদ্যালয়ের (রূপান্তরিত বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়) প্রথম উপাচার্য অধ্যাপক এম. এ. রশীদের নামে এখানে প্রতিষ্ঠিত হয় ডঃ রশীদ ফাউন্ডেশন। প্রতিভার স্বীকৃতি স্বরূপ আবদুল জব্বারকেই সর্বপ্রথম 'ড. রশীদ অধ্যাপক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
অধ্যাপক মোহাম্মদ আবদুল জব্বার পার্কিনসন্স রোগে আক্রান্ত হয়ে ১৯৯৩ সালের ২০ জুলাই তারিখে মৃত্যুবরণ করেন।
শিক্ষাজীবন
জন্মস্থান পাবনা জেলার সুজানগর থানার গোপালপুর গ্রাম। দুই বোন ও তিন ভাইয়ের মধ্যে আবদুল জব্বার ছিলেন সবার ছোট। মিয়াজান মল্লিক প্রথম জীবনে মাঝি ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি স্বাধীনভাবে ছোট ছোট ব্যবসা শুরু করেন এবং এই ব্যবসার সীমিত আয় দিয়েই সংসার চালাতেন তিনি। মিয়াজান মল্লিক তার বড় ছেলে মোহাম্মদ আবিদ আলীকে প্রথমে গ্রামের পাঠশালায় ভর্তি করান। পাঠশালার হেডপণ্ডিত শশী ভূষণ দাস মেধাবী আবিদ আলীকে বৃত্তি পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ দেন। বৃত্তি পরীক্ষায় আবিদ আলী জেলার সকল শিক্ষার্থীর মধ্যে প্রথম হয়ে মাসিক দুই টাকা বৃত্তি লাভ করেন এবং স্কুলে বিনা বেতনে পড়ার সুযোগ পান। আবদুল জব্বার এবং তার মেজো ভাই আকবর আলীকেও হেডপণ্ডিত পাঠশালায় বিনাবেতনে পড়ার সুযোগ দেন।
গোপালপুর পাঠশালা থেকে বৃত্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে মোহাম্মদ আবদুল জব্বার নিশ্চিন্তপুর উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হন। এরপর ১৯৩২ সালে সাতবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র হিসেবে লেটারসহ ম্যাট্রিক পাস করেন। একই বছর তিনি কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজে আই.এসসি. ভর্তি হন। ১৯৩৪ সালে তিনি এই কলেজ থেকে গণিতে লেটারসহ কৃতিত্বের সঙ্গে আই.এসসি. পাস করেন। এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ মুসলমান শিক্ষার্থীদের মধ্যে তিনি প্রথম স্থান অধিকার করেন এবং বৃত্তি লাভ করেন। এরপর গণিতে অনার্স নিয়ে প্রেসিডেন্সি কলেজে বি.এসসি. ভর্তি হন তিনি। মেজো ভাই আকবর আলীর মতো রসায়নে অনার্স নিয়ে বি.এসসি. পড়ার ইচ্ছে ছিল তার। কিন্তু আই.এসসি. পরীক্ষায় গণিতে লেটার পাওয়ায় প্রেসিডেন্সি কলেজের রসায়ন বিভাগের তৎকালীন প্রধান ড. কুদরত-এ-খুদার পরামর্শে তিনি গণিত বিষয়ে অনার্স পড়ার সিদ্ধান্ত নেন। প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে তিনি কৃতিত্বের সঙ্গে গণিতে অনার্সসহ বি.এসসি. পাস করেন। মাত্র অল্প কয়েক নম্বরের জন্য তিনি প্রথম বিভাগ পান নি। এরপর গণিত বিষয়ে এম.এসসি. ডিগ্রি লাভের জন্য তিনি পড়াশোনা শুরু করেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ে নবনিযুক্ত জার্মান অধ্যাপক এফ. ডব্লিউ. লেভি এম.এসসি. শ্রেণিতে মডার্ন অ্যালজেবরা নামে একটি নতুন বিষয় প্রবর্তন করেন। এই নতুন বিষয়ের একমাত্র ছাত্র ছিলেন আবদুল জব্বার। ১৯৩৮ সালে তিনি প্রথম শ্রেণীতে প্রথম স্থান অধিকার করে এম.এসসি. পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।
গবেষণা
এম.এসসি. পাস করার পর অধ্যাপক লেভির সুপারিশে আবদুল জব্বার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি গবেষণা-বৃত্তি লাভ করেন। এ বৃত্তি নিয়ে অধ্যাপক লেভির তত্ত্বাবধানে গবেষণা কাজ শুরু করেন তিনি। একইসঙ্গে তিনি ঐ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশুদ্ধ গণিত (পিওর ম্যাথমেটিক্স) বিভাগের প্রভাষক নিযুক্ত হন। সে সময় তৎকালীন সরকার ফরেন স্কলারশিপ চালু করে এবং আবদুল জব্বার এই স্কলারশিপ লাভ করেন। এই স্কলারশিপ অর্জনের মধ্য দিয়ে আবদুল জব্বারের বিদেশে গিয়ে উচ্চশিক্ষা লাভ করে তার প্রতিভার বিকাশ ঘটানোর সুযোগ এলো। শুভানুধ্যায়ী অধ্যাপক লেভির পরামর্শে আবদুল জব্বার ডি.এসসি. ডিগ্রি অর্জনের লক্ষ্যে এমএস ডিগ্রির জন্য ভর্তি হন কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে।
যুক্তরাজ্যের লন্ডনে অবস্থিত কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে উদ্দেশ্যে আবদুল জব্বার ১৯৩৯ সালের ১ সেপ্টেম্বর মুম্বাই থেকে জাহাজে ওঠেন। ইউরোপে তখন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সূচনা হয়েছে। বোম্বাই থেকে তাদের জাহাজ ছাড়ার দুই দিন পর ব্রিটেন জার্মানির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। এ-সময় জার্মান যুদ্ধ্বজাহাজের অতর্কিত আক্রমণের আশঙ্কায় জাহাজের যাত্রাপথ পরিবর্তন করতে হয়। সুয়েজ খাল ধরে এগুনোর পরিবর্তে তাদের জাহাজ পুরো আফ্রিকা ঘুরে ব্রিটেনে পৌঁছায় নির্দিষ্ট সময়ের অনেকদিন পর। বিশ্বযুদ্ধের সেই অস্থির সময়ে আবদুল জব্বার একজন অধ্যাপকের অধীনে তার পড়াশোনা শুরু করেন। যুদ্ধকালীন নানা প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে এক বছর গবেষণা করে তিনি যখন পিএইচডি ডিগ্রির জন্য মনোনীত হলেন, তখনই যুদ্ধের তীব্রতা বৃদ্ধির কারণে লন্ডনের সকল বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়। ব্রিটিশ সরকারের নির্দেশে অন্যান্য সক্ষম লোকদের মতো আবদুল জব্বারের অধ্যাপককেও বাধ্যতামূলকভাবে সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে হয়। আবদুল জব্বার তখন অন্য কোনো অধ্যাপকের তত্ত্বাবধানে তার কাজ শেষ করার চেষ্টা করতে থাকেন। এসময় ব্রিটিশ সরকার সব বিদেশীকে ইংল্যান্ড ছেড়ে চলে যাবার আদেশ জারি করলে আবদুল জব্বার তার উচ্চশিক্ষা অসমাপ্ত রেখেই দেশে ফিরে আসতে বাধ্য হন।
লন্ডন থেকে ফিরে তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক লেভির তত্ত্বাবধানে গবেষণা শুরু করেন। অধ্যাপকের সহায়তায় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একটি গবেষণা-বৃত্তি লাভ করেন তিনি। একইসঙ্গে তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের অবৈতনিক লেকচারার নিযুক্ত করা হয়। গবেষণা কাজের তত্ত্বাবধায়ক অধ্যাপক লেভির সঙ্গে ভারতের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে গণিত বিষয়ক সেমিনারগুলোতে যোগ দেয়ার সুযোগ হয় তার। অধ্যাপকের সঙ্গে মিলিতভাবে কয়েকটি গবেষণা-নিবন্ধও তিনি প্রকাশ করেন এসময়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ে অবৈতনিক প্রভাষক হিসেবে নিযুক্তির সময় তাকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল যে, পদ খালি হলে তাকে প্রভাষকের পদে স্থায়ী নিয়োগ দেওয়া হবে। কিন্তু এই আশ্বাস শেষ পর্যন্ত বাস্তবায়িত হয়নি। ফলে ১৯৪৩ সালে তিনি চট্টগ্রাম কলেজে গণিতের প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন। কিছুদিন পর সেখান থেকে বদলি হয়ে তিনি ফিরে আসেন প্রেসিডেন্সি কলেজে।
কর্মজীবন
১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগের পর আবদুল জব্বার পাকিস্তানের কোনো প্রতিষ্ঠানে নিয়োগের জন্য আবেদন করেন। প্রথমে তাকে নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগর কলেজে বদলি করা হয়। কিন্তু এর পরপরই কৃষ্ণনগর ভারতের অন্তর্ভুক্ত হলে তাকে রাজশাহী কলেজে যোগদানের নির্দেশ দেয়া হয়। বছরখানেক এই কলেজে থাকার পর ১৯৪৮ সালে তিনি নিযুক্ত হন তৎকালীন ঢাকা আহসানউল্লাহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের গণিত বিভাগের প্রধান হিসেবে। ১৯৬২ সাল পর্যন্ত তিনি এই বিভাগে দায়িত্ব পালন করেন। সেই বছরই আহসানউল্লাহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত হলে তিনি এর রেজিস্ট্রার নিযুক্ত হন এবং ১৯৬৮ সাল পর্যন্ত এই পদে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৬৮ থেকে ১৯৮০ সাল পর্যন্ত তিনি ছাত্রকল্যাণ পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮০ সালে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অবসর গ্রহণ করেন।
১৯৮৪ সালে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য ড. এম. এ. রশীদের নামে সম্মানসূচক পদ (চেয়ার)-এর সূচনা করা হয়। মোহাম্মদ আবদুল জব্বার প্রথমবারের মতো 'ড. রশীদ অধ্যাপক' নিযুক্ত হয়ে পুনরায় প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে আসেন।
জ্যোতির্বিজ্ঞান চর্চা
বাংলাদেশে জ্যোতির্বিজ্ঞান চর্চার উপযুক্ত পরিবেশ এবং উপকরণ তিনিই প্রথম সৃষ্টি করেন। ১৯৬২ - ৮২ সাল পর্যন্ত তার অঙ্কিত তারা চিত্র রাতের আকাশ নামে বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হত। তার সার্বিক তত্ত্বাবধান এবং পরিকল্পনায় বাংলাদেশের প্রথম খ-গোলক (celestial globe) নির্মিত হয়। এই খ-গোলকটি বর্তমানে বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল এসোসিয়েশনে সংরক্ষিত আছে।
পুরস্কার ও সম্মাননা
বাংলা একাডেমির ফেলো নির্বাচিত হন ১৯৮৪ সালে।
ড. কুদরত-ই-খুদা স্মৃতি পদক (১৯৮৫)
বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার (১৯৮৩)
একুশে পদক (১৯৮৫)
কেন্দ্রীয় খেলাঘর আসর, অনুসন্ধিৎসু চক্র ও বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল এসোসিয়েশন যৌথভাবে তাকে ১৯৯০ সালে ব্রুনো পদকে ভূষিত করে।
রচনাবলী
বিশ্ব রহস্যে নিউটন ও আইনস্টাইন (১৯৪২)
খ-গোলক পরিচয় (১৯৬৫),
তারা পরিচিতি (১৯৬৭),
প্রাচীন জ্যোতির্বিদ্যা (১৯৭৩),
বিশ্ব ও সৌরজগৎ (১৯৮৬),
আকাশ পট (১৯৮৯)
টেক্সট বুক অব ইন্টারমিডিয়েট স্টাটিসটিক্স
টেক্সট বুক অব ইন্টারমিডিয়েট ডাইনামিক্স
টেক্সট বুক অব ডিফারেন্সিয়াল ক্যালকুলাস
টেক্সট বুক অব ইন্টিগ্রাল ক্যালকুলাস
বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশী জ্যোতির্বিজ্ঞানী
বিষয়শ্রেণী:১৯১৫-এ জন্ম
বিষয়শ্রেণী:১৯৯৩-এ মৃত্যু
বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশী বিজ্ঞান লেখক
বিষয়শ্রেণী:একুশে পদক বিজয়ী
বিষয়শ্রেণী:বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার বিজয়ী
বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক | আবদুল জব্বার (জ্যোতির্বিজ্ঞানী) |
ভারতীয় উপমহাদেশ হল এশিয়ার দক্ষিণ অঞ্চলে অবস্থিত একটি উপমহাদেশ, যা হিমালয়ের দক্ষিণে ভারতীয় টেকটনিক পাতের উপর অবস্থিত এবং দক্ষিণে ভারত মহাসাগর পর্যন্ত প্রসারিত এক সুবিশাল ভূখণ্ডের উপর বিদ্যমান। এই অঞ্চলের রাষ্ট্রগুলি হল বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান, মালদ্বীপ, নেপাল ও ভুটান।
সংজ্ঞা
ভারতীয় উপমহাদেশ ও দক্ষিণ এশিয়া আলাদা কিছু নয়।
"ভারতীয় উপমহাদেশ" ও "দক্ষিণ এশিয়া" শব্দ দুইটি পরস্পরের প্রতিশব্দ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। রাজনৈতিক সংবেদনশীলতার কারণে কেউ কেউ "ভারতীয় উপমহাদেশ" শব্দটির বদলে "দক্ষিণ এশীয় উপমহাদেশ", "পাক-ভারত উপমহাদেশ", "উপমহাদেশ" বা কেবলমাত্র "দক্ষিণ এশিয়া" শব্দগুলি ব্যবহার করেন। ঐতিহাসিক সুগত বসু ও আয়েশা জালালের মতে, "সাম্প্রতিক কালে নিরপেক্ষ বাচনভঙ্গিতেই" ভারতীয় উপমহাদেশ দক্ষিণ এশিয়া নামে পরিচিত হয়েছে। ভারততত্ত্ববিদ রোনাল্ড বি. ইনডেন মনে করেন, "দক্ষিণ এশিয়া" শব্দটি এখন অধিকতর প্রচলিত এবং এই শব্দের মাধ্যমে পূর্ব এশিয়া থেকে এই অঞ্চলকে পৃথক করা সহজ হয়। কোনো কোনো বিশেষজ্ঞ মনে করেন, "উপমহাদেশ" বা "ভারতীয় উপমহাদেশ" শব্দ দুইটির চেয়ে "দক্ষিণ এশিয়া" কথাটি ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকায় অধিক পরিচিত।
তথ্যসূত্র
আরও দেখুন
দক্ষিণ এশিয়া
ভারত
এশিয়া
বিষয়শ্রেণী:দক্ষিণ এশিয়া
বিষয়শ্রেণী:ভারতীয় উপমহাদেশ | ভারতীয় উপমহাদেশ |
thumb|বিভিন্ন উৎকেন্দ্রিকতা বিশিষ্ট কক্ষীয় বঙ্কিম পথের চিত্র
জ্যোতির্গতিবিজ্ঞানের প্রমিত অনুমিতিসমূহতে বলা হয়েছে, একটি কক্ষপথকে অবশ্যই কনিক ছেদকের আকৃতি বিশিষ্ট হতে হবে। এই আকৃতি নির্ধারণে যে বিষয়টি সবচেয়ে বেশি প্রভাব সৃষ্টি করে তা হচ্ছে উৎকেন্দ্রিকতা। কক্ষপথের উৎকেন্দ্রিকতাকেই কক্ষীয় উৎকেন্দ্রিকতা বলা হয়। কক্ষের পরম আকৃতিও এটি নির্ধারণ করে। এইটি পরিমাপ করে কক্ষের আকূতি বৃত্তপথ থেকে কতটুকু বিচ্যুত হয়েছে তাও নির্ণয় করা যায়। প্রমিত অনুমিতিগুলোর মাধ্যমে বৃত্তীয় এবং কনিক আকৃতির সকল কক্ষপথের উৎকেন্দ্রিকতার সংজ্ঞা দেয়া হয়েছে। বৃত্ত, উপবৃত্ত, পরাবৃত্ত বা অধিবৃত্ত সবগুলোর জন্যই এটি প্রযোজ্য। উৎকেন্দ্রিকতার মানের ধরনগুলো এরকম:
বৃত্তীয় কক্ষ: ,
উপবৃত্তীয় কক্ষ: ,
পরাবৃত্তীয় বঙ্কিম পথ: ,
অধিবৃত্তীয় বঙ্কিম পথ:
বিষয়শ্রেণী:জ্যোতির্গতিবিজ্ঞান
বিষয়শ্রেণী:খ-বলবিজ্ঞান
ru:Кеплеровы элементы орбиты#Эксцентриситет | কক্ষীয় উৎকেন্দ্রিকতা |
ইটাখোলা মুড়া বাংলাদেশের কুমিল্লা জেলার ময়নামতী অঞ্চলে অবস্থিত একটি প্রত্নতাত্ত্বিক সৌধস্থল। এটি কুমিল্লা সদর উপজেলার হতে পশ্চিম দিকে ৮ কিমি দূরে কোটবাড়ি সড়কের ওপারে রূপবান মুড়ার উল্টোদিকে অবস্থিত। এই প্রত্নস্থান পাহাড়ের গায়ের তিনটি স্তরে বিদ্যমান। প্রাচীনকাল থেকেই এই স্থানটি ইট পোড়ানোর খনি হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এজন্যই এর এরকম নামকরণ করা হয়েছে।
অবকাঠামো
ইটাখোলা মুড়ায় বেশ কয়েকবার খননকাজ চালিয়ে বড় বড় কিছু বৌদ্ধস্তূপ ও এসব স্তূপ থেকে ৪২ মিটার উত্তরে সংলগ্ন একটি বৌদ্ধ মঠের সন্ধানও পাওয়া গেছে। ধারণা করা হয়, এই প্রত্নস্থানটিকে পাঁচটি সাংস্কৃতিক যুগ অতিক্রম করতে হয়েছে। পূর্ববর্তী তিন সাংস্কৃতিক কালপর্যায়ের নির্দশনগুলো পরবর্তীকালের ধ্বংসাবশেষের নিচে চাপা পড়ে রয়েছে। এজন্য সব নিদর্শনগুলো উদ্ধার করা সহজ হচ্ছেনা।
স্তূপ কমপ্লেক্স
এই স্থানের মূল আকর্ষণ বিস্তীর্ণ স্তূপ কমপ্লেক্স। ১৩.১ বর্গমিটার ভিতের উপর অবস্থিত এই স্তূপটি নিরেটভাবে নির্মিত। স্তূপের পূর্ব বা সম্মুখভাগের মধ্যস্থলে একটি ক্ষুদ্র পীঠস্থান রয়েছে যার আকৃতি ২.৪ মি. এবং ২.১ মি.।
চিত্রশালা
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ
বিষয়শ্রেণী:কুমিল্লা জেলার প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা
বিষয়শ্রেণী:ময়নামতী
বিষয়শ্রেণী:কুমিল্লা জেলার দর্শনীয় স্থান | ইটাখোলা মুড়া |
thumb|right|375px|মহাবিশ্বের বিভিন্ন উপাদানের পরিমাণের আনুপাতিক শক্তি-ঘনত্বের একটি পাই ছক। শতকরা প্রায় ৯৫ ভাগই অদৃশ্য শক্তি ও অদৃশ্য বস্তু।
ল্যাস্ব্ডা-সিডিএম-এর পূর্ণরূপ ল্যাস্ব্ডা-কোল্ড ডার্ক ম্যাটার (Lambda-Cold Dark Matter) বা ল্যাম্বডা-শীতল অদৃশ্য বস্তু। যেহেতু এটি মহাজাগতিক ক্ষুদ্র তরঙ্গ পটভূমির পর্যবেক্ষণিক ব্যাখ্যা দেয়ার চেষ্টা করে, এবং মহাকাশ সম্প্রসারণের বৃহৎ-পরিসর গঠন পর্যবেক্ষণ ও সুপারনোভা পর্যবেক্ষণ প্রদান করে, তাই এটি কনকর্ডেন্স মডেল (concordance model) নামেও পরিচিত।
বেশীরভাগ আধুনিক মহাজাগতিক মডেলই মহাজাগতিক নীতির ওপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠিত। এটি বলে যে, মহাবিশ্বে আমাদের পর্যবেক্ষণীয় স্থান (সাধারণ অর্থে পৃথিবী) অস্বাভাবিক বা বিশেষ নয়; পরযাপ্ত বৃহৎ ক্ষেত্রে সকল দিক ও সকল স্থান থাকে মহাবিশ্বকে একই রকম লাগে।
বিষয়শ্রেণী:ভৌত বিশ্বতত্ত্ব | ল্যামডা-সিডিএম নকশা |
রবার্ট উড্রো উইলসন () একজন মার্কিন জ্যোতির্বিজ্ঞানী। তিনি আরনো এলান পেনজিয়াসের সাথে যৌথভাবে মহাজাগতিক ক্ষুদ্র তরঙ্গ পটভূমি বিকিরণ আবিষ্কার করেন। এজন্য তারা ১৯৭৮ সালে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পান।
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ
Robert Woodrow Wilson: Official Nobel page
Annotated bibliography for Robert Wilson from the Alsos Digital Library for Nuclear Issues
বিষয়শ্রেণী:১৯৩৬-এ জন্ম
বিষয়শ্রেণী:জীবিত ব্যক্তি
বিষয়শ্রেণী:মার্কিন জ্যোতির্বিজ্ঞানী
বিষয়শ্রেণী:মার্কিন নোবেল বিজয়ী
বিষয়শ্রেণী:মার্কিন পদার্থবিজ্ঞানী
বিষয়শ্রেণী:নোবেল বিজয়ী পদার্থবিজ্ঞানী | রবার্ট উড্রো উইলসন |
প্রাচীন শিক্ষাব্যবস্থার পরিবর্তন এবং স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের উপযোগী সমাজগঠনমূলক একটি সার্বিক শিক্ষাব্যবস্থার রুপরেখা প্রণয়নের উদ্দেশ্যে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক গৃহীত প্রস্তাব অনুযায়ী ১৯৭২ সালের ২৬ জুলাই গঠিত 'জাতীয় শিক্ষা কমিশন' প্রনীত সুপারিশমালা। এই কমিশনের সভাপতি ছিলেন ড.কুদরাত-এ-খুদা। তার নাম অনুসারে পরবর্তিকালে রিপোর্টির নাম রাখা হয় ' ড.কুদরাত-এ-খুদা শিক্ষাকমিশন রিপোর্ট'। এটি প্রকাশিত হয় ১৯৭৪ সালের মে মাসে ' বাংলাদেশ শিক্ষা কমিশন রিপোর্ট' নামে। এতে পরিশিষ্ট বাদে ৩৬ তি অধ্যায় ছিল এবং পৃষ্ঠা সংখ্যা ছিল মোট ৪৩০।
কমিশনের অধ্যায়সমূহ
৩৬ টি অধ্যায়ের শিরোনাম হলোঃ
শিক্ষার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যাবলী
চরিত্র ও ব্যক্তিত্ব গঠন
কর্ম অভিজ্ঞতা
শিক্ষার মাধ্যম
শিক্ষায় বিদেশী ভাষার স্থান
শিক্ষক- শিক্ষার্থীর হার
প্রাক্- প্রাথমিক শিক্ষা
প্রাথমিক শিক্ষা
মাধ্যমিক শিক্ষা
বৃত্তিমূলক শিক্ষা
ডিপ্লোমা স্তরে প্রকৌশল শিক্ষা ও প্রযুক্তিবিদ্যা
মাদ্রাসা শিক্ষা ও টোল শিক্ষা
শিক্ষক শিক্ষণ
উচ্চ শিক্ষা ও গবেষণা
ডিগ্রী স্তরে প্রকৌশল শিক্ষা ও প্রযুক্তিবিদ্যা
বিজ্ঞান শিক্ষা
কৃষিশিক্ষা
বাণিজ্যশিক্ষা
আইনশিক্ষা
ললিতকলা
পরীক্ষা ও মূল্যায়ন পদ্ধতি
শিক্ষকদের দায়িত্ব ও মর্যাদা
নিরক্ষরতা দূরীকরণ
বয়স্ক শিক্ষা ও অনানুষ্ঠানিক শিক্ষা
নারীশিক্ষা
বিশেষ শিক্ষা
শারিরীক ও মানসিক বাধাগ্রস্থদের এবং বিশেষ মেধাবীদের জন্য শিক্ষা
স্বাস্থ্য শিক্ষা
শরীরচর্চা ও সামরিক শিক্ষা
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি
শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক
শিক্ষাগৃহ ও শিক্ষার উপকরন
গ্রন্থাগার
শিক্ষাক্ষেত্রে সুযোগ সুবিধা
ছাত্র নির্দেশনা ও পরামর্শদান
ছাত্রকল্যাণ ও জাতীয় সেবা, শিক্ষার জন্য অর্থসংস্থান এবং পরিশেষ।
কমিশনের সদস্যবৃন্দ
মোহাম্মদ ফেরদাউস খান
এম. ইউ. আহমেদ
মাহমুদ মোকাররম হোসেন
মোহাম্মদ নূরুস সাফা
এম. আবদুস সাত্তার
কবীর চৌধুরী
আবদুল হক
আনিসুজ্জামান
নূরুল ইসলাম
শামসুল ইসলাম
আ. ম. জহুরুল হক
সিরাজুল হক
বাসন্তি গুহঠাকুরদা
মোহাম্মদ আবু সুফিয়া
মুহাম্মদ নুরুল হক
মোহাম্মদ হাবিবল্লাহ্
হেনা দাস
মো. আশরাফউদ্দিন খান
বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশে শিক্ষা | কুদরাত-এ-খুদা শিক্ষা কমিশন |
আবিষ্কারের ধারাবাহিকতা অনুসারে অতিপারমাণবিক কণাসমূহের তালিকা জানার জন্য দেখুন, কণা আবিষ্কারের কালপঞ্জি
এটি কণা পদার্থবিজ্ঞানের সকল কণাসমূহের একটি তালিকা। বর্তমানে মানুষের জ্ঞাত এবং অজ্ঞাত তথা হাইপোথেটিক্যাল সকল কণা এতে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এমনকি এদের হতে যে সকল যৌগিক কণাসমূহ গঠিত হয় তাদের তালিকায় প্রদান কা হয়েছে।
মৌল কণা
যে কলাগুলোর অভ্যন্তরীন কোন পরিমাপযোগ্য গঠন নেই এবং যারা অন্য কোন কণা দ্বারা গঠিত নয় তাদেরকে মৌল কণা বলা হয়। এরাই কোয়ান্টাম ক্ষেত্র তত্ত্বের মৌলিক বস্তু। এই মৌল কণাগুলোকে তাদের স্পিনের উপর ভিত্তি করে শ্রেণীবিভাগ করা যায়। যেমন, ফার্মিয়নের ঘুর্ণন অর্ধ ভগ্নাংশ এবং বোসনের স্পিন পূর্ণ সংখ্যা।
প্রমিত মডেল
বর্তমানে মৌল কণাসমূহের পদার্থবিজ্ঞান বলতে প্রমিত মডেল নিয়ে অধ্যয়নকেই বোঝানো হয়ে থাকে। একমাত্র হিগ্স বোসন ব্যতীত প্রমিত মডেলের অন্য সকল মৌল কণাই পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে।
ফার্মিয়ন (অর্ধ-সংখ্যা স্পিন)
কোয়ার্ক
তথ্যসূত্র
(All information on this list, and more, can be found in the extensive, annually-updated review by the Particle Data Group)
Joseph F. Alward, Elementary Particles, Department of Physics, University of the Pacific
Elementary particles, The Columbia Encyclopedia, Sixth Edition. 2001.
বিষয়শ্রেণী:পদার্থবিজ্ঞানের তালিকা
বিষয়শ্রেণী:অর্ধপারমানবিক কণা | কণাসমূহের তালিকা |
হিপ্পিয়াস বা মেটাফোন্টামের হিপ্পিয়াস একজন গ্রিস দার্শনিক এবং পিথাগোরাস-এর শিষ্য। ম্যাগণা গ্রাসিয়াতে 500 খ্রিস্টপূর্বাব্দে তার জন্ম। হিপ্পিয়াসকে সাধারণভাবে অমূলদ সংখ্যার জনক বলা হয়। তিনিই প্রথম আবিষ্কার করেন যে ২-এর বর্গমূল একটি অমূলদ সংখ্যা। অমূলদ সংখ্যা হলো সে সংখ্যা যেটিকে দুইটি পূর্ণসংখ্যার অণুপাত হিসাবে প্রকাশ করা যায় না।
হিপ্পিয়াসের এই আবিস্কারের আগে পিথাগোরিয়ানরা বিশ্বাস করতো, যে কোনো সংখ্যাকে দুইটি পূর্ণসংখ্যার অণুপাত হিসাবে প্রকাশ করা যায়। হিপ্পিয়াসের আবিস্কারের যৌক্তিক ভিত্তি স্বত্ত্বেও পিথাগোরিয়ানরা এটিকে ধর্মদ্রোহিতা মনে করে এবং তাকে মৃত্যুদন্ড দেয়। কথিত আছে যে, সমুদ্রে ভ্রমণের সময় এটি আবিষ্কার হয় এবং অন্য পিথাগোরিয়ানরা তাকে নৌকা থেকে ফেলে দেয় । কিন্তু পরে তারা বুঝতে পারে ।
শব্দ বিজ্ঞান ও অণুনাদ নিয়ে তার কিছু কাজের কথা জানা গেলেও তার বেশিরভাগ কাজই এখন আর পাওয়া যায় না।
বিষয়শ্রেণী:গ্রিক গণিতবিদ
বিষয়শ্রেণী:গ্রিক দার্শনিক | ইপ্পিয়াস |
right|thumb|নিকোলাই লোবাচেভস্কি
নিকোলাই ইভানোভিচ লোবাচেভস্কি(Никола́й Ива́нович Лобаче́вский) (ডিসেম্বর ১ , ১৭৯২ - ফেব্রুয়ারি ২৪, ১৮৫৬) প্রখ্যাত রুশ গণিতবিদ। তিনিই প্রথম ইউক্লিডীয় জ্যামিতির (Euclidean geometry) থেকে স্বতন্ত্র অপর একটি জ্যামিতিক তত্ত্বের প্রবর্তন করেন যা লোবাচেভস্কীয়
জ্যামিতি (Lobachevskian geometry) নামে প্রচলিত।
জীবনী
নিকোলাই ইভানোভিচ লোবাচেভস্কি দরিদ্র এক সরকারি কর্মচারীর ঘরে জন্মগ্রহণ করেন। সাংসারিক অভাব অনটন সত্ত্বেও তার মা তাদের তিন ভাইকে 'কাজান' গ্রামার স্কুলে পাঠান। সেখানে লোবাচেভস্কি ১৮০২ থেকে ১৮০৭ পর্যন্ত পড়াশুনো করেন। ১৮০৭ থেকে ১৮১১ তিনি কাটান কাজান বিশ্ববিদ্যালয়ে। ১৮১৬ সালে তিনি ঐ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপনার কাজে নিযুক্ত হন। তার অধ্যাপনার বিষয়বস্তুর বহুমুখিতা, বৈদগ্ধ্য আর গভীর অন্তর্দৃষ্টি ছাত্রদের মধ্যে বিশেষ প্রভাব ফেলেছিল। ১৮২৭ সালে তিনি কাজান বিশ্ববিদ্যালয়ের রেক্টর পদে উন্নীত হন এবং কুড়ি বছর ধরে এই পদের দায়িত্বে থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভূতপূর্ব উন্নতিসাধন করেন।
১৮৫৬ সালের ফেব্রুয়ারি ২৪ তিনি শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ১৮৯৬ সালে তার স্মৃতিতে কাজান শহরে একটি স্মারকস্তম্ভ স্থাপন করা হয়।
সূত্র
A. S. Smogorzhevsky (1976) Lobachevskian Geometry (Mir Publishers, Moscow).
বহিঃসংযোগ
Lobachevsky song by Tom Lehrer, in MP3 format.
Web site dedicated to Lobachevsky (in Spanish).
বিষয়শ্রেণী:রুশ গণিতবিদ
বিষয়শ্রেণী:১৭৯২-এ জন্ম
বিষয়শ্রেণী:১৮৫৬-এ মৃত্যু | নিকোলাই লোবাচেভস্কি |
স্তন ক্যান্সারে নারীদের মৃত্যুর হার সবচেয়ে বেশি। সাধারণত ৫০ বছরের বেশি বয়সীদের মধ্যে এই ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। আশ্চর্যজনক ব্যাপার হচ্ছে এতোদিন এই ক্যান্সারের ব্যাপারে নারীদের সচেতন করার জোরটা ছিল বেশি, কিন্তু এখন পুরুষদেরকেও সচেতন করার জোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে। কারণ, পুরুষদের মধ্যেও স্তন ক্যান্সার দেখা দিতে পারে। যদিও পুরুষদের স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার হার খুবই কম। এক হিসেবে দেখা যায় যুক্তরাজ্যে প্রতিবছর ৪১ হাজার মহিলা স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হন, সেই তুলনায় মাত্র ৩০০ জন পুরুষ এই রোগে আক্রান্ত হন।
লক্ষণ বা উপসর্গ
স্তনের কোন অংশ চাকা চাকা হয়ে যাওয়া অথবা কোন লাম্প দেখা যাওয়া
স্তনের আকার বা আকৃতির পরিবর্তন
স্তনবৃন্তের আকারে পরিবর্তন
স্তনবৃন্ত থেকে রক্ত বা তরল পদার্থ বের হওয়া
স্তনবৃন্তের আশেপাশে রাশ বা ফুসকুড়ি দেখা যাওয়া
বগলে ফুলে যাওয়া বা চাকা দেখা দেয়া
স্তনের ভেতরে গোটা ওঠা বা শক্ত হয়ে যাওয়া
শ্রেণীবিভাগ
স্তন ক্যান্সার বিভিন্ন গ্রেডিং সিস্টেম দ্বারা শ্রেণীবদ্ধ করা হয়। এই প্রতিটি প্রজনন প্রভাবিত করে এবং চিকিৎসা প্রতিক্রিয়া প্রভাবিত করতে পারে। স্তন ক্যান্সারের বর্ণনাটি সর্বোত্তমভাবে এই সমস্ত কারণগুলি অন্তর্ভুক্ত করে।
হিস্টোপ্যাথোলজি। স্তন ক্যান্সার সাধারণত প্রাথমিকভাবে তার হিস্টোলজিকাল দ্বারা শ্রেণীবদ্ধ করা হয়। সর্বাধিক স্তন ক্যান্সার ডাক্তস বা লোবিঊলস আচ্ছাদিত ইপেথেলিয়াম, থেকে উদ্ভূত হয়, এবং এই ক্যান্সার ডাক্টাল বা লোবুলার কারসিনোমা হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়। বসন্তের কার্সিনোমা নিম্নমানের ক্যান্সারযুক্ত বা প্রিন্স্যান্সার কোষগুলির বৃদ্ধি বিশেষ টিস্যু কোষের অভ্যন্তরে যেমন পার্শ্ববর্তী টিস্যু আক্রমণ না করে স্তন্যপায়ী নল। বিপরীতে, আক্রমণকারী কার্সিনোমা প্রাথমিক টিস্যু কোষে নিজেকে সীমাবদ্ধ করে না।
ব্রেস্ট স্ক্রিনিং বা ম্যামোগ্রাফি
৫০ থেকে ৭০ বছর বয়সী নারীদের প্রতি তিনবছর পর পর ব্রেস্ট স্ক্রিনিং বা ম্যামোগ্রাম করানো উচিত। ম্যামোগ্রাম হচ্ছে এক্স-রে’র মাধ্যমে নারীদের স্তনের অবস্থা পরীক্ষা করা। সাধারণত প্রাথমিক অবস্থায় ক্যান্সার এতো ছোট থাকে যে বাইরে থেকে সেটা বোঝা সম্ভব হয় না। কিন্তু ম্যামোগ্রামের মাধ্যমে খুব ছোট থাকা অবস্থাতেই বা প্রাথমিক পর্যায়েই ক্যান্সার নির্ণয় করা যায়। প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পরলে ক্যান্সার থেকে সুস্থ্য হয়ে ওঠার সম্ভাবনা প্রচুর থাকে। আর এই পরীক্ষার জন্য মাত্র কয়েক মিনিট সময় লাগে।
ঝুঁকির মাত্রা বেশি যাদের
৫০ বছরের বেশি বয়সীদের ঝুঁকির মাত্রা সবচেয়ে বেশি। স্তন ক্যান্সারে যতোজন আক্রান্ত হন তাদের ৮০ ভাগেরই বয়স হচ্ছে ৫০-এর ওপর। সেই সাথে যাদের পরিবারে কারোর স্তন ক্যান্সার রয়েছে তাদেরও এই ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা প্রচুর।
জিনগত পরিব্যক্তি
স্তন ক্যান্সারের ক্ষেত্রে কিছু কিছু জিনগত পরিব্যক্তিও অনেকসময়েই দায়ী হয়ে থাকে। এমনকি সারা বিশ্বের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ৫-১০% স্তন ক্যান্সার জিনগত পরিব্যক্তির কারণেই হয়ে থাকে। ডাক্তারি মতে, যেসব মহিলাদের মায়েদের ৫০ বছরের আগেই স্তন ক্যান্সার ধরা পরেছে তাদের ক্ষেত্রে স্তন ক্যান্সার হওয়ার সম্ভবনা ১.৭ শতাংশ বৃদ্ধি পায় যেখানে এই সংখ্যাটি নেমে ১.৪ শতাংশ হয়ে যায় সেইসব মহিলাদের ক্ষেত্রে যাদের মায়েদের স্তন ক্যান্সার ৫০ বছর বা তারপরে গিয়ে ধরা পরেছে। আবার পরীক্ষা করে দেখা গেছে, যেসব মহিলাদের আত্মীয়দের মধ্যে স্তন ক্যান্সার রোগীর সংখ্যা যথাক্রমে শূণ্য, এক বা দুই সেইসব ক্ষেত্রে তাদের ৮০ বছরের আগে স্তন ক্যান্সার হওয়ার সম্ভবনা যথাক্রমে ৭.৮%, ১৩.৩% এবং ২১.১%। শুধু তাই নয় এসব ক্ষেত্রে স্তন ক্যান্সারের কারণে মৃত্যুহারের পরিমাণ যথাক্রমে ২.৩%, ৪.২% এবং ৭.৬%। এমনকি যেসব মহিলাদের ফার্স্ট ডিগ্রী আত্মীয়দের মধ্যে যদি কারোর স্তন ক্যান্সার ধরা পরে তবে তাদের ৪০-৫০ বছরের মধ্যে স্তন ক্যান্সার হওয়ার সম্ভবনা সাধারণ মানুষের থেকে প্রায় দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়ে থাকে। ৫% এর কম ক্ষেত্রে দেখা যায় যে জিনগত পরিব্যক্তি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ
ব্রেস্ট ক্যান্সার কেয়ার
বিষয়শ্রেণী:স্তনের ক্যান্সার
বিষয়শ্রেণী:বংশানুক্রমিক ক্যান্সার | স্তন ক্যান্সার |
thumb|right|200px|৭০ বছর বয়সে ভলতেয়ার। ১৮৪৩ সালে প্রকাশিত ভলতেয়ারের দার্শনিক অভিধান হতে নেয়া খোদাইচিত্র।
ফ্রঁসোয়া-মারি আরুয়ে () (২১শে নভেম্বর, ১৬৯৪ – ৩০শে মে, ১৭৭৮), যিনি ছদ্মনাম ভলতেয়ার (Voltaire) নামেই বেশি পরিচিত, ফরাসি আলোকময় যুগের একজন লেখক, প্রাবন্ধিক ও দার্শনিক। তার বাকচাতুর্য (wit) ও দার্শনিক ছলাকলা (philosophical sport) সুবিদিত। তিনি নাগরিক স্বাধীনতার স্বপক্ষে, বিশেষত ধর্মের স্বাধীনতা ও ন্যায়বিচারের অধিকারের পক্ষে অবস্থান নেয়ার জন্য বিখ্যাত ছিলেন। তিনি ফ্রান্সের কঠোর সেন্সর আইন উপেক্ষা করে সামাজিক সংস্কারের অন্যতম প্রবক্তা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন। খ্রিস্টান গির্জা ও তৎকালীন ফরাসি সামাজিক আচার ছিল তার ব্যঙ্গবিদ্রুপের লক্ষ্য।
জীবনী
প্রাথমিক জীবন
ভলতেয়ারের জন্ম ফ্রান্সের প্যারিস শহরে। তার বাবা ফ্রঁসোয়া আরুয়ে (১৬৫০ - ১৭২২) ছিলেন নোটারি ও সরকারের ট্রেজারি দপ্তরের এক সাধারণ কর্মকর্তা। মা মারি মার্গ্যরিত দোমার (১৬৬০ - ১৭০১) ছিলেন ফ্রান্সের পোয়াতু প্রদেশের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারের মেয়ে। ভলতেয়ার তাদের পাঁচ সন্তানের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ। ১৬৯৪ সালের ২১শে নভেম্বর তার জন্ম হয়। ১৭০৪ থেকে ১৭১১ সাল পর্যন্ত ভলতেয়ার কোলেজ লুই-ল্য-গ্রঁ নামক বিদ্যালয়ে জেসুইট পাদ্রিদের কাছে পড়াশনা করেন। এখানেই লাতিন ও গ্রিক ভাষা শেখেন। পরবর্তী জীবনে ভলতেয়ার ইতালীয়, স্পেনীয় ও ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা অর্জন করেছিলেন।
আরও দেখুন
মহোমেট (মঞ্চনাটক)
পাদটীকা
পড়ুন
Besterman, Theodore, Voltaire, (1969).
বিষয়শ্রেণী:ফরাসি লেখক
বিষয়শ্রেণী:ফরাসি দার্শনিক
বিষয়শ্রেণী:১৬৯৪-এ জন্ম
বিষয়শ্রেণী:১৭৭৮-এ মৃত্যু
বিষয়শ্রেণী:ইতিহাসের দার্শনিক
বিষয়শ্রেণী:সংস্কৃতির দার্শনিক
বিষয়শ্রেণী:১৮শ শতাব্দীর দার্শনিক | ভলতেয়ার |
পুনর্নির্দেশ ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি, খড়গপুর | Indian Institute of Technology Kharagpur |
পুনর্নির্দেশ পরিগণনা | Computation |
ভাষাবিজ্ঞান এবং কম্পিউটার বিজ্ঞানে প্রসঙ্গমুক্ত ব্যাকরণ () হচ্ছে একটি বিধিগত ব্যাকরণ (formal grammar) যেখানে প্রতিটি উৎপাদনী সূত্র (production rule) নিম্নোক্ত রূপের হয়-
V → w
যেখানে V একটি অসমাপ্তিজ্ঞাপক প্রতীক (nonterminal symbol) এবং w হচ্ছে সমাপ্তিজ্ঞাপক (terminal symbol) ও/অথবা অসমাপ্তিজ্ঞাপক প্রতীক দিয়ে গঠিত একটি স্ট্রিং। "প্রসঙ্গমুক্ত" (context-free) পরিভাষাটি দিয়ে বোঝানো হচ্ছে যে অসমাপ্তিজ্ঞাপক V-কে সর্বদাই w দিয়ে প্রতিস্থাপিত করা যাবে, সেটি যে প্রসঙ্গেই ঘটুক না কেন। একটি বিধিগত ভাষা (formal language) যদি কোন প্রসঙ্গমুক্ত ব্যাকরণ থেকে উৎপাদন বা সৃষ্টি (generate) করা হয়, তবে তাকে প্রসঙ্গমুক্ত ভাষা (context-free language) বলা হয়।
প্রসঙ্গমুক্ত ব্যাকরণ একটি শক্তিশালী ধারণা এবং এর সাহায্যে বেশির ভাগ প্রোগ্রামিং ভাষার সিনট্যাক্স বর্ণনা করা যায় এবং তা-ই বাস্তবে ঘটেছে। কিন্তু প্রসঙ্গমুক্ত ব্যাকরণগুলি সরলও বটে; এগুলির সাহায্যে দক্ষ পার্সিং অ্যালগোরিদম নির্মাণ করা সম্ভব, যেগুলি কোন প্রদত্ত স্ট্রিং কীভাবে ব্যাকরণটি থেকে সৃষ্টি হতে পারে, তা নির্ণয়ে সক্ষম। আর্লি পার্সার (Earley parser) এই ধরনের অ্যালগোরিদমের একটি উদাহরণ। এলআর পার্সার (LR parser) এবং এলএল পার্সারগুলি (LL parser) প্রসঙ্গমুক্ত ব্যাকরণসমূহের একটি সীমিত উপসেটের ওপর কাজ করে।
প্রসঙ্গমুক্ত ব্যাকরণ প্রকাশ করার জন্য সবচেয়ে প্রচলিত লিখন পদ্ধতি (notation) হচ্ছে বিএনএফ (BNF) বা বাকাস-নাউর রূপ।
বিধিগত ভাষামাত্রেই প্রসঙ্গমুক্ত নয়। এরকম একটি ভাষা হল , যা এমন কতগুলি স্ট্রিং-এর সেট, যার প্রতিটি স্ট্রিং কিছু সংখ্যক a দিয়ে শুরু হয়, এবং একে অনুসরণ করে সমসংখ্যক b এবং c।
বিধিগত সংজ্ঞা
অন্য যেকোন বিধিগত ব্যাকরণের (formal grammar) মতই কোন প্রসঙ্গমুক্ত ব্যাকরণ G-কে একটি ৪-টুপল আকারে প্রকাশ করা যায়:
যেখানে
সমাপ্তিজ্ঞাপক প্রতীকের সসীম সেট
অ-সমাপ্তিজ্ঞাপক প্রতীকের সসীম সেট
উৎপাদন নিয়মসমূহের একটি সসীম সেট
হচ্ছে একটি উপাদান, একটি বিশেষভাবে চিহ্নিত আরম্ভসূচক অ-সমাপ্তিজ্ঞাপক প্রতীক (starting non-terminal)
-এর উপাদানগুলি নিচের রূপবিশিষ্ট
কোন ভাষা L-কে একটি প্রসঙ্গমুক্ত ভাষা (Context-Free-Language বা CFL) বলা হয় যদি এর ব্যাকরণটি প্রসঙ্গমুক্ত হয়। আরও সঠিকভাবে, L এমন একটি ভাষা যার শব্দ, বাক্য এবং পদগুচ্ছগুলি একটি প্রসঙ্গমুক্ত ব্যাকরণের প্রতীক ও শব্দ দিয়ে গঠিত। L-কে তাই সাধারণত L=L(G) আকারে প্রকাশ করা হয়।
নিচে কিছু প্রসঙ্গমুক্ত ব্যাকরণের উদাহরণ দেয়া হল:
উদাহরণসমূহ
উদাহরণ ১
নিচে একটি সরল প্রসঙ্গমুক্ত ব্যাকরণ দেয়া হল:
S → aSb | ε
যেখানে | দিয়ে একই অসমাপ্তিজ্ঞাপক প্রতীকের জন্য একাধিক অপশনগুলিকে পৃথক করে দেখানো হয়েছে এবং ε দিয়ে খালি স্ট্রিং বোঝানো হয়েছে। এই ব্যাকরণটি নিচের ভাষাটিকে সৃষ্টি করে:
যা একটি নিয়মিত ভাষা নয়।
উদাহরণ ২
নিচের প্রসঙ্গমুক্ত ব্যাকরণটি x, y এবং z নামক তিনটি চলকের জন্য সিনট্যাক্সগতভাবে সঠিক ইনফিক্স বীজগাণীতিক এক্সপ্রেশন সৃষ্টি করতে পারে:
S → x | y | z | S + S | S - S | S * S | S/S | (S)
উদাহরণস্বরূপ এই ব্যাকরণটি "( x + y ) * x - z * y / ( x + x )" স্ট্রিংটি সৃষ্টি করতে পারে।
এই ব্যাকরণটি দ্ব্যর্থবোধক, অর্থাৎ এতে একই স্ট্রিং-কে একাধিক পার্স-বৃক্ষের সাহায্যে সৃষ্টি করা সম্ভব।
উদাহরণ ৩
{a,b} সেটটির উপর ভিত্তি করে গঠিত সমস্ত স্ট্রিং, যেগুলির প্রতিটিতে a-এর সংখ্যা b-এর সংখ্যার সমান নয়, যে ভাষা গঠন করে, সেই ভাষাটিকে নিচের প্রসঙ্গমুক্ত ব্যাকরণ দিয়ে নির্দেশ করা যায়
S → U | V
U → TaU | TaT
V → TbV | TbT
T → aTbT | bTaT | ε
এখানে T এরকম সমস্ত স্ট্রিং সৃষ্টি করে যেগুলিতে a ও b-এর সংখ্যা সমান। U এরকম সমস্ত স্ট্রিং সৃষ্টি করে যেগুলিতে a-এর সংখ্যা b-এর চেয়ে বেশি এবং V এমন সমস্ত স্ট্রিং সৃষ্টি করে যেগুলিতে a-এর সংখ্যা b-এর সংখ্যার চেয়ে কম।
উদাহরণ ৪
প্রসঙ্গমুক্ত ভাষার আরেকটি উদাহরণ হল । এটি একটি নিয়মিত ভাষা নয়, কিন্তু এটি প্রসঙ্গমুক্ত এবং নিচের প্রসঙ্গমুক্ত ব্যাকরণটি দিয়ে সৃষ্টি করা সম্ভব:
S → bSbb | A
A → aA | ε
অন্যান্য উদাহরণ
প্রসঙ্গমুক্ত ব্যাকরণ কেবল গাণিতিক বিধিগত ভাষাসমূহের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। ভেনপা নামের এক শ্রেণীর তামিল কবিতা প্রসঙ্গমুক্ত ব্যাকরণ-নিয়ন্ত্রিত বলে ধারণা করা হয়।
তথ্যসূত্র
Section 2.1: Context-Free Grammars, pp. 91–101. Section 4.1.2: Decidable problems concerning context-free languages, pp. 156–159. Section 5.1.1: Reductions via computation histories: pp. 176–183.
বিষয়শ্রেণী:কম্পাইলার
বিষয়শ্রেণী:বিধিগত ভাষা | প্রসঙ্গমুক্ত ব্যাকরণ |
পুনর্নির্দেশ ৪ জুন | ৪ই জুন |
পুনর্নির্দেশ সংকেতবিজ্ঞান | Semiotics |
কম্পিউটার প্রকৌশল (ইলেক্ট্রনিক ও কম্পিউটার প্রকৌশল) একটি এমন একটি ফলিতবিদ্যা যাতে তড়িৎ প্রকৌশল ও কম্পিউটার বিজ্ঞানের উপাদানগুলো সু-সমন্বয় রয়েছে। কম্পিউটার প্রকৌশলীদের ইলেকট্রনিক্স প্রকৌশল সফটওয়ার ডিজাইন ও হার্ডওয়ার-সফটওয়ার একত্রীকরণ প্রভৃতি ক্ষেত্রে বিশেষ শিক্ষা ও দক্ষতা আছে। কম্পিউটার প্রকৌশলী কম্পিউটিং এর মাইক্রোপ্রসেসর, পার্সোনাল কম্পিউটার, এবং সুপারকম্পিউটার ডিজাইন থেকে শুরু করে সার্কিট ডিজাইন সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখেন। এই প্রকৌশলবিদ্যা ডিভাইস ও যন্ত্রে বিভিন্ন এমবেডেড সিস্টেমকে ( উদাহরণস্বরুপ, কিছু এমবেডেড কম্পিউটার সিস্টেম মোটরযানের বিভিন্ন অংশ নিয়ন্ত্রণ ও পর্যবেক্ষণে ব্যবহৃত হয়) ব্যবহারে ভূমিকা রাখে। কম্পিউটার প্রকৌশলীর সাধারণ কার্যাবলীর মধ্যে রয়েছে সাধারণ ও বিশেষ কম্পিউটারের জন্য সফটওয়ার তৈরি করা, এমবেডেড মাইক্রোকন্ট্রোলারের জন্য ফার্মওয়ার লিখা, বিভিন্ন ভিএলএসআই চিপ ডিজাইন, বিভিন্ন এনালগ সেন্সর ডিজাইন, বিভিন্ন সার্কিট বোর্ড ডিজাইন এবং অপারেটিং সিস্টেম ডিজাইন প্রভৃতি। কম্পিউটার প্রকৌশলীরা রোবোটিক্স গবেষণার জন্য উপযুক্ত, যা বিভিন্ন তড়িৎ সিস্টেম যেমন মোটর, যোগাযোগব্যবস্থা, সেন্সর প্রভৃতি নিয়ন্ত্রণে ডিজিটাল সিস্টেমের উপর পুরোপুরি নির্ভরশীল।
ইতিহাস
১৯৭২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের কেস ওয়েস্টার্ন রিজার্ভ বিশ্ববিদ্যালয় প্রথম কম্পিউটার প্রকৌশল ডিগ্রি চালু করে। ২০০৪ সালের অক্টোবর অনুসারে, যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ১৭০টি এবিইটি স্বীকৃত কম্পিউটার প্রকৌশল কর্মসূচি রয়েছে।
ইউরোপে কম্পিউটার প্রকৌশল প্রতিষ্ঠানগুলোর স্বীকৃতি প্রদান করে বিভিন্ন সংস্থা যেগুলো ইকিউএএনআইই এর অংশ হিসেবে কাজ করে।
প্রকৌশলীদের পেশার জন্য প্রয়োজনীয় শর্তাবলী বৃদ্ধির কারণে, যারা একই সাথে হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার, ফার্মওয়্যার ডিজাইন এবং কম্পিউটার প্রযুক্তির সব ধরনের কাজ পরিচালনা করতে পারে, তাদের জন্য বিশ্বের কিছু প্রতিষ্ঠান স্নাতক ডিগ্রী প্রদান করে থাকে। কম্পিউটার প্রকৌশল এবং তড়িৎ প্রকৌশল উভয় কর্মসূচির পাঠ্যক্রমেই অ্যানালগ এবং ডিজিটাল সার্কিট ডিজাইন রয়েছে। অধিকাংশ প্রকৌশলের নিয়ম অনুসারে, কম্পিউটার প্রকৌশলীদের জন্য সামান্য গণিত এবং বিজ্ঞানের জ্ঞান থাকা আবশ্যক।
কাজ
কম্পিউটার প্রকৌশলে দুইটি প্রধান বিভাগ রয়েছে: সফটওয়্যার এবং হার্ডওয়্যার।
কম্পিউটার সফটওয়্যার প্রকৌশল
কম্পিউটার সফটওয়্যার প্রকৌশলীরা সফটওয়্যার ডেভলপ, ডিজাইন এবং পরীক্ষার কাজ করেন। কিছু সফটওয়্যার প্রকৌশলী বিভিন্ন কোম্পানির জন্য কম্পিউটার প্রোগ্রাম ডিজাইন, নির্মাণ এবং রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করেন। আবার কেউ নেটওয়ার্ক স্থাপনের কাজ করেন, উদাহরণস্বরূপ, "ইন্ট্রানেট"।
কম্পিউটার হার্ডওয়্যার প্রকৌশল
শিক্ষায়তনিক বিদ্যা হিসেবে কম্পিউটার প্রকৌশল
কম্পিউটার প্রকৌশল সর্বপ্রথম শিক্ষায়তনিক বিদ্যা হিসেবে ১৯৭১ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কেস ওয়েস্টার্ন রিজার্ভ ইউনিভার্সিটিতে পড়ানো শুরু হয়; অক্টোবর ২০০৪ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ১৭০টি অনুমোদিত প্রতিষ্ঠান এই বিভাগ পড়ানো হচ্ছে।
চাকরির বাজারে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ব্যবহৃত কম্পিউটার সিস্টেম ডিজাইন ও ব্যবস্থাপনা করতে পারার যোগ্যতাসম্পন্ন প্রকৌশলীর চাহিদা বৃদ্ধির ফলে বিভিন্ন ইনস্টিটিউশন কম্পিউটার প্রকৌশল নামে ব্যাচেলর ডিগ্রি প্রদান করছে। কম্পিউটার প্রকৌশল এবং ইলেকট্রনিক প্রকৌশল উভয় বিভাগেই তাদের কারিকুলামে এনালগ ও ডিজিটাল সার্কিট ডিজাইন অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। অন্যান্য সকল প্রকৌশলবিদ্যার মত গণিতে শক্ত ভিত্তি থাকা যেকোন কম্পিউটার প্রকৌশলীর জন্য অপরিহার্য।
আইইইই/এসিএম যৌথভাবে কারিকুলাম গাইডলাইনস ফর আন্ডারগ্রাজুয়েট ডিগ্রি প্রোগ্রামস ইন কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং নামে একটি সহায়িকা প্রণয়ন করেছে যাতে কম্পিউটার প্রকৌশলের মূল ক্ষেত্র বর্ণনা করা হয়েছে এভাবেঃ
অ্যালগোরিদম
কম্পিউটার আর্কিটেকচার ও ব্যবস্থাপনা (অর্গানাইজেশন)
কম্পিউটার সিস্টেম প্রকৌশল
সার্কিট ও সঙ্কেত
ডাটাবেজ সিস্টেম
ডিজিটাল লজিক
ডিজিটাল সঙ্কেত প্রক্রিয়াকরণ
ইলেকট্রনিক্স
এমবেডেড সিস্টেম
মানব-কম্পিউটার মিথস্ক্রিয়া
অপারেটিং সিস্টেম
প্রোগ্রামিংয়ের মূল জ্ঞান
সামাজিক ও পেশাদারী ইস্যু
সফটওয়্যার প্রকৌশল
ভিএলএসআই ডিজাইন ও ফেব্রিকেশন
কম্পিউটার প্রকৌশলের অন্তর্ভুক্ত বিষয়ের কোন সীমা নেই। উপরোক্ত বিষয় ছাড়াও প্রকৌশলের অন্তর্ভুক্ত যে কোন বিষয় এতে যুক্ত করা যায়।
আরো দেখুন
তড়িৎ প্রকৌশল
প্রকৌশলী
কম্পিউটার
কম্পিউটার বিজ্ঞান
কম্পিউটার-সহায়িত সফটওয়ার প্রকৌশল
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ
কম্পিউটার প্রকৌশল কনফারেন্স ক্যালেন্ডার
ইনস্টিটিউট অফ ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ার্স
বিষয়শ্রেণী:ইলেক্ট্রনিক প্রকৌশল
*
fi:Ohjelmistotuotanto
lt:Programų inžinerija
sq:Inxhinieria informatike
su:Rékayasa software | কম্পিউটার প্রকৌশল |
thumb|right|হারম্যান হলারিথ
হারম্যান হলারিথ (ইংরেজি ভাষায়: Herman Hollerith) (২৯শে ফেব্রুয়ারি, ১৮৬০ – ১৭ই নভেম্বর, ১৯২৯) একজন মার্কিন পরিসংখ্যানবিদ যিনি পাঞ্চ-কার্ডভিত্তিক যান্ত্রিক ট্যাবুলেটর উদ্ভাবন করেন যা দিয়ে কোটি কোটি উপাত্ত থেকে পরিসংখ্যান দ্রুত ট্যাবুলেট করা যেত।
ব্যক্তিগত জীবন
হলারিথ নিউ ইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের বাফেলো শহরে জার্মান পিতা-মাতার ঘরে জন্ম নেন। সিটি কলেজ অফ নিউ ইয়র্ক এবং কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটি স্কুল অফ মাইন্স-এ পড়াশোনা করেন ও মাইনিং বা খনন প্রকৌশলী হিসেবে স্নাতক হন। ১৮৯০-এ কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি লাভ করেন। ১৯২৯ সালে হার্ট অ্যাটাকে মারা যান।
কর্মজীবন
পড়াশোনা শেষ করে তিনি মার্কিন আদম শুমারি দফতরে চাকরি পান। পরবর্তীকালে ম্যাসাচুসেটস ইন্সটিটিউট অফ টেকনলজিতে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন।
তার শ্যালক রেশম-বোনার ব্যবসায় জড়িত ছিলেন এবং তার কাছ থেকেই তিনি জাকার তাঁত (Jacquard loom)-এর কথা শোনেন। তাঁতটিতে কার্ডের ভেতরে ফুটো করে রেশম বুননের জটিল নকশাগুলি প্রোগ্রাম করা হত। এর থেকেই পরে ট্রেন টিকেটের পাঞ্চ ছবির চলন শুরু হয়, যাতে যাত্রীর বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য (যেমন উচ্চতা ও চুলের রঙ) কন্ডাকটর টিকেটের কোণায় পাঞ্চ করে রাখতে পারতেন। এইসব উদাহরণ দেখে হলারিথ ঠিক করলেন যে আদমশুমারির তথ্য সংগ্রহকারীরাও একই পদ্ধতি প্রয়োগ করতে পারেন। তারা পাঞ্চ কার্ডে তথ্য সংগ্রহ করবেন এবং পরে এই কার্ডগুলি পরে জাকার তাঁতের অনুসরণে তৈরি করা একটি যন্ত্র দিয়ে সুবিন্যস্ত করে নেয়া হবে। ; এই উদ্ভাবনটির নতুনত্ব ছিল এই যে এক কার্ডেই কোন ব্যক্তির সমস্ত তথ্য পাওয়া যেত এবং কার্ডের ফুটোগুলি যান্ত্রিকভাবে নয়, বরং বৈদ্যুতিকভাবে অনুধাবন করা হত।
ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস মেশিন্স
১৯১১ সালে হলারিথের প্রতিষ্ঠান আরও দুটি কোম্পানির সাথে মিলে কম্পিউটিং ট্যাবুলেটিং রেকর্ডিং কর্পোরেশন গঠন করে। পরে ১৯২৪ সালে টমাস জে ওয়াটসনের সভাপতিত্বে কোম্পানিটির নাম বদল করে রাখা হয় আইবিএম।
তথ্যসূত্র
গ্রন্থপঞ্জি
বহিঃসংযোগ
Hollerith's patents from 1889:
Computer History Museum: Hollerith 1889 patent
IBM Archives: Herman Hollerith
IBM Archives: Tabulating Machine Co. plant
Early Office Museum: Punched Card Tabulating Machines
Hollerith page at the National Hall of Fame
Map to his gravesite
Columbia University Computing History: Herman Hollerith
"Inventor of the Week" biography at Lemelson-MIT Program site
বিষয়শ্রেণী:মার্কিন পরিসংখ্যানবিদ
বিষয়শ্রেণী:মার্কিন উদ্ভাবক
বিষয়শ্রেণী:কম্পিউটার অগ্রদূত
বিষয়শ্রেণী:জার্মান বংশোদ্ভূত মার্কিন ব্যক্তি
বিষয়শ্রেণী:১৮৬০-এ জন্ম
বিষয়শ্রেণী:১৯২৯-এ মৃত্যু | হারম্যান হলারিথ |
গবেষণা () হল মানুষের বুদ্ধিবৃত্তিক অনুসন্ধান প্রক্রিয়া এবং নতুন কিছু আবিষ্কারের নেশায় বিজ্ঞানীদের কার্যাবলী। যিনি গবেষণা করেন বা গবেষণা কর্মের সাথে জড়িত, তিনি গবেষক বা গবেষণাকারী নামে পরিচিত। গবেষণার মূল উদ্দেশ্য হল
বাস্তবিক কোনো সমস্যার সমাধান করা। গবেষণা একটি ধারাবাহিক কার্যপ্রক্রিয়া যা নির্দিষ্ট ধাপ অনুসরণ এর মাধ্যমে সম্পাদিত হয়ে থাকে।
গবেষণা ধাপসমূহ
গবেষণা সাধারণত বালিঘড়ি মডেল-কাঠামোর ভিত্তিতে পরিচালিত হয়। এই মডেল-কাঠামো অনুসারে গবেষণা শুরু হয় একটি বিস্তৃত কাঠামোকে কেন্দ্র করে যেখানে নির্দিষ্ট প্রজেক্ট বা উদ্দেশ্যের আওতায় প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহের মাধ্যমে তথ্য বিশ্লেষণ, ফলাফল উপস্থাপন এবং প্রাসঙ্গিক আলোচনা সন্নিবেশিত করা হয়। গবেষণার প্রধান ধাপসমূহ হচ্ছে:
গবেষণার সমস্যা চিহ্নিতকরণ
প্রাসঙ্গিক গবেষণা ও তথ্য পর্যালোচনা
গবেষণার সমস্যা নির্দিষ্টকরণ
অনুমিত সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও গবেষণার প্রশ্ন নির্দিষ্টকরণ
তথ্য সংগ্রহ
তথ্য বিশ্লেষণ ও বর্ণনাকরণ
প্রতিবেদন তৈরি।
তথ্যসূত্র
আরও পড়ুন
Freshwater, D., Sherwood, G. & Drury, V. (2006) International research collaboration. Issues, benefits and challenges of the global network. Journal of Research in Nursing, 11 (4), pp 9295–303.
Cohen, N. & Arieli, T. (2011) Field research in conflict environments: Methodological challenges and snowball sampling. Journal of Peace Research 48 (4), pp. 423–436.
বহিঃসংযোগ
উত্তম গবেষণার কৌশল
১. গবেষণার কোন অংশে ধোঁয়াশা রাখা যাবেনা। ২. উপাত্ত অবশ্যই বৈধ হতে হবে। ৩. পর্যাপ্ত উপাত্ত বিশ্লেষণ করতে হবে। ৪. গবেষণার উদ্দেশ্য হবে সুনির্দিষ্ট। ৫. গবেষণায় প্রতিটি অংশ স্পষ্ট থাকতে হবে। ৫. নমনীয়তা রক্ষা করতে হবে ৬.গবেষণায় প্রাপ্ত ফলাফল পুনঃব্যবহারযোগ্য হতে হবে। | গবেষণা |
বুদ্ধ, শব্দের অর্থ 'যিনি পরম শাশ্বত বোধ বা জ্ঞান লাভ করেছেন'। বৌদ্ধধর্মানুসারে তিনিই 'বুদ্ধ' যিনি জগতের সার সত্য সম্বন্ধে অবগত হয়েছেন এবং নিজে নির্বাণলাভের পূর্বে ধরিত্রীর সকল জীবকে নির্বাণলাভের উপায় উপদেশ করে গেছেন। কতজন বুদ্ধ আবির্ভুত হয়েছেন তা বলে শেষ করা যাবেনা।
গৌতম বুদ্ধ তার শিষ্যদের অতীতের ২৮ জন বুদ্ধ (নিজেসহ) কথা বলে গেছেন । আমরা এখন ২৮তম বুদ্ধ - গৌতম বুদ্ধ এর ধর্মকাল অবস্থান করছি, গৌতম বুদ্ধের ধর্মের ব্যপ্তিকাল মোট ৫০০০ বছর, বর্তমানে আমরা এই ধর্মকালের ২৫৫৪ বছরে আছি। আরো ২৪৪৬ বছর পর গৌতম বুদ্ধের শাসন শেষ হয়ে যাবে। এই ভদ্রকল্পে পরবর্তীতে আরো একজন বুদ্ধ হবেন। তিনি হচ্ছেন আর্যমিত্র বুদ্ধ। গৌতম বুদ্ধ দীপংকর বুদ্ধের আমলে সুমেধ তাপস নামে জন্ম নিয়েছিলেন। একদিন দীপংকর বুদ্ধ ভিক্ষায় বের হলে পথে সুমেধ তাপসও উপস্থিত হলেন। পথে কর্দমাক্ত রাস্তায় দীপংকর বুদ্ধ দাঁড়িয়ে গেলেন। ভাবছিলেন কিভাবে ঐ কর্দমাক্ত রাস্তা পার হবেন। সুমেধ তাপস আগপাশ চিন্তা না করে কর্দমাক্ত রাস্তার উপর লম্বালম্বি শুয়ে পড়লেন এবং দীপংকর বুদ্ধকে তার উপর দিয়ে রাস্তা পার হবার আবেদন জানালেন। সুমেধ তাপস প্রার্থনা করলেন যেন তিনিও ভবিষ্যতে বুদ্ধ হতে পারেন। দীপংকর বুদ্ধ সুমেধ তাপসকে আশীর্বাদ করলেন এই বলে যে, তুমি ভবিষ্যতে গৌতম বুদ্ধ হবে। সর্বশেষ যে ২৮ জন বুদ্ধ গত হয়েছেন, তারা হলেন:
১) তৃষঙ্কর বুদ্ধ
২) মেধঙ্কর বুদ্ধ
৩) শরণংকর বুদ্ধ
৪) দীপংকর বুদ্ধ
৫) কোন্ডণ্য বুদ্ধ
৬) সুমঙ্গল বুদ্ধ
৭) সুমন বুদ্ধ
৮) রেবত বুদ্ধ
৯) সোভিত বুদ্ধ
১০) অনোমদর্শী বুদ্ধ
১১) পদুম বুদ্ধ
১২) নারদ বুদ্ধ
১৩) পদুমুত্তর বুদ্ধ
১৪) সুমেধ বুদ্ধ
১৫) সুজাত বুদ্ধ
১৬) প্রিয়দর্শী বুদ্ধ
১৭) অর্থদর্শী বুদ্ধ
১৮) ধর্মদর্শী বুদ্ধ
১৯) সিদ্ধার্থ বুদ্ধ
২০) তিষ্য বুদ্ধ
২১) ফুসস্ বুদ্ধ
২২) বিপশী বুদ্ধ
২৩) সিখী বুদ্ধ
২৪) বেসস্ভূবুদ্ধ
২৫) কুকুসন্ধ বুদ্ধ
২৬) কোণাগমন বুদ্ধ
২৭) কশ্যপ বুদ্ধ
২৮)গৌতম বুদ্ধ
তথ্যসূত্র
বিষয়শ্রেণী:বৌদ্ধ ধর্ম | বুদ্ধ |
লিস্প () একটি প্রোগ্রামিং ভাষা পরিবারের নাম যেটি সমৃদ্ধ ইতিহাস ও বন্ধনী-বিশিষ্ট সিনট্যাক্সের জন্য পরিচিত। ১৯৫৮ সালে প্রথম তৈরি এই ভাষাটি বর্তমান বহু ব্যবহৃত উচ্চ-স্তরের ভাষাগুলির মধ্যে দ্বিতীয় প্রাচীনতম; কেবল ফোরট্রান এর চেয়ে বেশি পুরনো। ফোরট্রানের মতই লিস্পও তার অতীতের রূপের চেয়ে অনেক পাল্টেছে, এবং এর অনেকগুলি উপভাষারও সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমানে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত লিস্প উপভাষাগুলির মধ্যে আছে কমন লিস্প ও স্কিম।
মূলত কম্পিউটার প্রোগ্রামকে আলোন্জো চার্চের ল্যাম্ডা ক্যালকুলাসের উপর ভিত্তি করে ব্যবহারিক গাণিতিক নোটেশনে প্রকাশ করার জন্য লিস্প উদ্ভাবন করা হয়েছিল । এটা খুব দ্রুতই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা গবেষকদের পছন্দের প্রোগ্রামিং ভাষা হয়ে উঠে। প্রথম দিককার প্রোগ্রামিং ভাষাগুলির মধ্যে একটি ছিল বলে লিস্প কম্পিউটার বিজ্ঞানের অনেক ধারণাকে প্রাথমিকভাবে এগিয়ে নিয়ে গেছে, যার মধ্যে রয়েছে ট্রি ডেটা স্ট্রাকচার, এটমিক তথ্য ব্যবস্থাপনা, ডাইনামিক টাইপিং, অবজেক্ট ওরিয়েন্টেড প্রোগ্রামিং এবং সেলফ-হোস্টিং কম্পাইলার।
ইতিহাস
জন ম্যাকার্থি ১৯৫৮ সালে এম. আই. টি তে অধ্যাপনা করা অবস্থায় লিস্প আবিষ্কার করেন। এ সি এম কমিউনিকেশন জার্নালে তিনি এটার কাঠামো একটা প্রবন্ধ হিসাবে প্রকাশ করেন।
থাম্ব|জন ম্যাকার্থি
স্টিভ রাসেল সর্বপ্রথম একটা আইবিএম ৭০৪ কম্পিউটারে লিস্প কোড চালান।
১৯৬২ সালে টিম হার্ট এবং মাইক লেভিন লিস্প সর্বপ্রথম সম্পূর্ণ কম্পাইলার তৈরি করেন। এই কম্পাইলারে লিস্পের ক্রমবর্ধমান কম্পাইলেশন মডেল প্রবর্তন করা হয়। এখানে কম্পাইল করা এবং ইন্টারপ্রেট করা ফাংশনগুলো একত্রে সহাবস্থান করতে পারে।
তথ্যসূত্র
বিষয়শ্রেণী:ফাংশনভিত্তিক প্রোগ্রামিং ভাষা | লিস্প (প্রোগ্রামিং ভাষা) |
স্পোর্টিং বেঙ্গল ইউনাইটেড ফুটবল ক্লাব (; এছাড়াও স্পোর্টিং বেঙ্গল ইউনাইটেড এফসি, অথবা শুধুমাত্র স্পোর্টিং বেঙ্গল ইউনাইটেড নামে পরিচিত) হচ্ছে লন্ডন ভিত্তিক একটি ইংরেজ পেশাদার ফুটবল ক্লাব। এই ক্লাবটি বর্তমানে ইংল্যান্ডের নবম স্তরের ফুটবল লীগ ইসেক্স জ্যেষ্ঠ ফুটবল লীগে খেলে। এই ক্লাবটি ১৯৯৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এই ক্লাবটি মূলত যুক্তরাজ্যের প্রবাসী বাংলাদেশী পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত হয়। এই দলটি গড়ে তোলার মূল উদ্দেশ্য ছিল স্থানীয় বাংলাদেশীদের যুক্তরাজ্যের মূলধারার ফুটবলের সাথে সম্পৃক্ত করা। স্পোর্টিং বেঙ্গল ইউনাইটেড তাদের সকল হোম ম্যাচ লন্ডনের মেইল এন্ড স্টেডিয়ামে খেলে থাকে; যার ধারণক্ষমতা হচ্ছে ২,০০০। স্পোর্টিং বেঙ্গল ইউনাইটেডের পাশাপাশি বিউমন্ট অ্যাথলেটিকও এই স্টেডিয়াটি ব্যবহার করে থাকে। বর্তমানে এই ক্লাবের ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করছেন ইমরুল গাজী এবং সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন আরোজ মিয়া। স্কটিশ রক্ষণভাগের খেলোয়াড় লিয়াম কুপার এই ক্লাবের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করছেন।
ইতিহাস
১৯৯৯–২০০০ মৌসুম থেকে ২০০৩ সালের পূর্ব পর্যন্ত এই ক্লাবটি লন্ডন ইন্টারমিডিয়েট লীগে অংশগ্রহণ করতো। ২০০৩ সালে স্পোর্টিং বেঙ্গল ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন কর্তৃক এই ক্লাবটি জ্যেষ্ঠ ক্লাবের মর্যাদা লাভ করে। তখন থেকে কেন্টের প্রিমিয়ার বিভাগ লীগে অংশগ্রহণের মাধ্যমে এর যাত্রা শুরু হয়। ২০০৫ সালের ২০শে আগস্ট তারিখে ওয়ার ক্লাবের সাথে এফএ কাপের প্রাথমিক পর্বে অংশগ্রহণের মাধ্যমে স্পোর্টিং বেঙ্গল ইতিহাস সৃষ্টি করে। যদিও উক্ত ম্যাচটিতে তারা ০–৪ গোলের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছিল।
ঘটনাপঞ্জী
১৯৯৬–১৯৯৭: পরপর দুই বছর এশিয়ান লীগ কাপ চ্যাম্পিয়ন
১৯৯৭: লীগ বাংলা শুরু
১৯৯৮: হ্যাকনি মার্শেসের নাইকি বিজ্ঞাপনে অংশগ্রহণ
১৯৯৮: বাংলাদেশ সফর এবং অনূর্ধ্ব-১৬ ও অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বিরুদ্ধে ম্যাচে অংশগ্রহণ
১৯৯৯: লন্ডন ইন্টারমেডিয়েট লীগে অংশগ্রহণ
২০০০: ঢাকা মোহামেডান ক্লাবের যুক্তরাজ্য সফর; যেখানে স্পোর্টিং বেঙ্গল ইউনাইটেড ৩–২ গোলে পরাজিত হয়
২০০১: ঢাকা আবাহনী লিমিটেড দলের যুক্তরাজ্য সফর; যেখানে স্পোর্টিং বেঙ্গল ইউনাইটেড জয়লাভ ২–১ গোলে জয়লাভ হয়
২০০১: স্পোর্টিং বেঙ্গল যুক্তরাজ্য আন্তঃশহর বিশ্বকাপ ফুটবলে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করে এবং চ্যাম্পিয়ন হয়
২০০২: ইউকে এশিয়ান ফুটবল চ্যাম্পিয়ন
২০০২/২০০৩: বাংলাদেশ সফর; বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের কাছে ২–১ গোলে পরাজিত হয়
২০০৩: ইউকে এশিয়ান ফুটবল চ্যাম্পিয়ন
২০০৩: লন্ডন ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন কর্তৃক জ্যেষ্ঠ ক্লাবের মর্যাদা গ্রহণ
২০০৩: কেন্ট অর্ধ-পেশাদার লীগের লিগের জন্য নির্বাচিত
২০০৪: এফএ ভেস কাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন
২০০৪: এফএ কাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন
সাফল্য
এফএ কাপের প্রাথমিক পর্বে খেলার ক্ষেত্রে ১২৫ বছরের ইতিহাসে এই ক্লাবটি এশীয়দের নিয়ে গঠিত প্রথম ক্লাব দুটির একটি। পরপর ৫ বছর ব্যর্থতার পর ২০০৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে এই ক্লাবটি ইউকে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের খেলায় গ্লাসগোতে উলভারহ্যাম্পটন পাঞ্জাব ইউনাইটেডকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়।
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ
যুক্তরাজ্যের বাংলাদেশ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন
বিষয়শ্রেণী:ইংল্যান্ডের ফুটবল ক্লাব | স্পোর্টিং বেঙ্গল ইউনাইটেড ফুটবল ক্লাব |
রৈখিক বীজগণিত () গণিতের একটি শাখা যেখানে ভেক্টর, ভেক্টর জগৎ (রৈখিক জগৎ নামেও পরিচিত), রৈখিক চিত্রণ (রৈখিক রূপান্তর নামেও ডাকা হয়), এবং রৈখিক সমীকরণসমূহের সিস্টেম নিয়ে আলোচনা করা হয়। আধুনিক গণিতে ভেক্টর জগৎ একটি কেন্দ্রীয় ধারণা। রৈখিক বীজগণিত তাই বিমূর্ত বীজগণিত ও ফাংশনাল বিশ্লেষণ উভয় ক্ষেত্রেই বহুল ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও বিশ্লেষণী জ্যামিতিতে রৈখিক বীজগণিতের বাস্তব উপস্থাপন (concrete representation) রয়েছে এবং অপারেটর তত্ত্বতে এটিকে সাধারণীকরণ (generalization) করা হয়েছে। প্রাকৃতিক বিজ্ঞান ও সামাজিক বিজ্ঞান উভয় ক্ষেত্রেই এর বহুল ব্যবহার পরিলক্ষিত হয়, কেননা এগুলোতে উদ্ভূত অ-রৈখিক মডেলগুলি প্রায়ই রৈখিক মডেলের সাহায্যে আসন্নীকৃত (approximated) করে নেয়া হয়।
রৈখিক বীজগণিতের সমীকরণ সবসময় একঘাত বিশিষ্ট হয়ে থাকে।
বিষয়শ্রেণী:রৈখিক বীজগণিত | রৈখিক বীজগণিত |
thumb|350px|Soil texture triangle, showing the 12 major textural classes, and particle size scales.
মৃত্তিকায় অবস্থিত বালি, পলি ও কর্দম কনার পারস্পরিক অনুপাতকে মৃত্তিকা বুনট বলে। আন্তর্জাতিকভাবে মৃত্তিকা বুনটকে ১২টি বুনট শ্রেণীতে ভাগ করা হয়েছে।
মৃত্তিকা separate
প্রধান বুনট শ্রেণীসমূহ
১২ টি প্রধান বুনট শ্রেণী রয়েছে:
বালি
পলি
কর্দম
দোআশ
দোআশ বালি
বালি দোআশ
বালি কর্দম দোআশ (Sandy clay loam)
বালি কর্দম (Sandy clay)
পলি দোআশ (Silt loam)
কর্দম দোআশ (Clay loam)
পলি কর্দম দোআশ(Silty clay loam)
পলি কর্দম (Silty clay)
বিষয়শ্রেণী:মৃত্তিকা বিজ্ঞান | মৃত্তিকা বুনট |
পুনর্নির্দেশ প্ল্যাঙ্কের ধ্রুবক | প্ল্যাংকের ধ্রুবক |