text
stringlengths 0
4.32k
|
---|
গিনেস বুকে সবছেয়ে লম্বা বিড়ালের রেকর্ডটা সাভান্নাহ জাতের দখলে। আমেরিকার কয়েকটা অঙ্গরাজ্যে সাভান্নাহ বিড়ালগুলো পালন করা নিষিদ্ধ কারন এদের বন্য স্বভাবের জন্য। এই বিড়ালগুলো এক লাফে প্রায় ছয় থেকে আট ফুট পর্যন্ত যেতে পারে এবং গাছে ছড়ার জন্য এদের খ্যাতি আছে। |
নরওয়েজিয়ান বন বিড়াল |
অনিন্দ সুন্দর নরওয়জিয়ান বন্য বিড়ালগুলো আদিকাল থেকেই কবি সাহিত্যিকদের কবিতায়, উপকথা, রূপকথায় স্থান পেয়ে এসেছে। বিশাল আকারের এই বিড়ালগুলো নিয়ে অনেক মিথ ছড়িয়ে আছে নরওয়ের মানুষের মুখে মুখে। কিন্তু েএই নরওয়েজিয়ান বিড়ালগুলো কোন যায়গা থেকে এসেছে? |
এই প্রশ্নটার উত্তর খুজতে গেলে হাজার হাজার গল্প পাওয়া যাবে কিন্তু সঠিক কোনটা তা কেউই বলতে পারবে না। হাজার হাজার গল্পের মাঝে যে তথ্যটা সবছেয়ে বেশী গ্রহণযোগ্য তা হচ্ছে- |
১০০ শতাব্দির কিছু সময় পরে রোমাদের দ্বারা সাদা কালো ব্রিটিশ শর্ট হেয়ার বিড়ালগুলো নরওয়েতে এসেছে। আবার ১৪ শতাব্দিতে ক্রসেডারদের দ্বারা লম্বা চুলের বিড়ালগুলো নরওয়েতে এসেছে। শিকার ধরায় এরা অনেক পারদর্শী ছিলো বলে খামারে এদের রাখা হতো। এই বিড়ালগুলো নিজেদের মাঝে প্রজননের মাধ্যমে বংশধর বৃদ্ধি করেছে। উত্তর নরওয়ের আবহাওয়া অনেক শীতল এবং এইখানে মে থেকে আগস্ট পর্যন্ত সূর্য অস্ত যায় না। আবার এই অঞ্চলে শীতের সময় রাত্রীর দৈর্ঘ্য অনেক লম্বা যার ফলে টিকে থাকার জন্য এই বিড়ালগুলোর শরীর বিশেষ ভাবে অভিযোজিত হয়েছে। ফলে এদের লম্বা পশম, সুঠোম ও শক্তিশালী দেহ গঠিত হয়েছে যাতে তারা সেই অঞ্চলে টিকে থাকতে পারে। এদের লম্বা পশমগুলো অনেক ঘন ও পানিরোধী। প্রথম নজরে এদের যেকেউই মেইন কুন বলে ধারনা করবে কারন এরা দেখতে প্রায় মেইনকুনের মতোই। নরওয়ের বিশাল জঙ্গলে টিকে থাকতে শাররীক গঠনের সাথে সাথে এদের বুদ্ধিবৃত্তির বিকাশ ঘটেছে অন্য বিড়ালেদের তুলনায়। |
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এই বিড়ালগুলো প্রায় বিলুপ্তির পথে ছিলো। পরবর্তীতে নরওয়ের বিড়ালপ্রেমীদের মাধ্যমে এই বিড়ালটি টিকে গেছে। ১৯৯৩ সালে এই বিড়ালটি একটি স্বতন্ত্র জাত হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে। |
বন্যবিড়ালগুলো আকারে বড় হয়ে থাকে। সেই সূত্রে নরওয়েজিয়ান বন বিড়াল গুলোর আকারও অন্য গৃহপালিত বিড়ালদের তুলনায় বড়। পুরুষ নরওয়েজিয়ান বিড়ালগুলো আকারে স্ত্রী বিড়ালের তুলনায় একটু বেশী ওজনের হয়ে থাকে। |
প্রাপ্ত বয়স্ক নরওয়েজিয়ান পুরুষ বিড়ালের ওজন হয় ৪.৫ কেজি থেকে ০৯ কেজি পর্যন্ত এবং স্ত্রী নরওয়েজিয়ান বিড়ালগুলোর ওজন হয় ৪ কেজি থেকে ৮ কেজি পর্যন্ত। |
বিশাল আকারের শক্তিশালী এই বিড়ালগুলোর দামও অনেক চড়া। এদের দাম স্থান কাল ভেদে ৮০০-১৫০০ ডলার পর্যন্ত হয়ে থাকে। নরওয়েজিয়ান বন বিড়ালগুলো গড়ে ১৬-১৮ বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকে। |
রাগডল |
একটি বিড়াল কতো বড় হলে তাকে "কুকুর মতো বিড়াল" নাম দেওয়া যেতে পারে? রাগডল এমনি একটি বিড়াল যাকে আমেরিকার স্থানীয়রা আদর করে নাম দিয়েছে "কুকুরের মতো বিড়াল"। এই নাম দেওয়ার পিছনের কারন হচ্ছে রাগডলের বিশাল আকার। গৃহপালিত বিড়ালগুলোর মাঝে বড় জাতের তালিকা করলে রাগডল উপরের সারিতেই থাকবে। |
আকারে বড় এবং শক্তিশালী হলেও এই বিড়ালগুলো অনেক বেশী সামাজিক, বিনয়ী, শান্ত স্বভাবের এবং শিশু ও অন্যান্য পোষা প্রানীর সাথে সহজেই মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে। যার জন্য এরা বিড়ালপ্রেমীদের নিকট অনেক জনপ্রিয় বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। শুধুমাত্র সামাজিকতা কিংবা শান্ত এর জন্য না, এই বিড়ালগুলো দেখতেও অনেক বেশী আকর্ষনীয়। এদের মাজারি আকারের সিল্কি পশম যখন বাতাসের সাথে দোল খেয়ে যায় তখন তা দেখে যে কারোই মন ভালো লাগবে। এর সাথে এদের নীল চোখের গভীর প্রেমময় চাহনি অবজ্ঞা করার সাহস কারো হবে না। |
তুলতুলে স্নেহময়ী নীল চোখের এই বিড়ালগুলো যখন কারো কোলে থাকে তখন দেখতে অনেকটা পুতুলের মতো মনে হয়। তাই এদের নামটা রাগডল করা হয়। |
রাগডল বিড়ালগুলোর ইতিহাস খুব বেশী দিনের না। আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়ার বিড়ালের ব্রিডার আ্যন বেকার ১৯৬০ সালে প্রথম রাগডল বিড়ালের জাত উদ্ভাবন করেন। |
রাগডল বিড়ালের জন্ম হয়েছে জোসেফাইন নামক একটি গৃহপালিত লম্বাচুলের সাদা বিড়ালেরর গর্ভথেকে। Josephine সম্ভবত Persian/Angora জাতের বিড়াল ছিলো। বিড়ালের প্রজনন কালীন আচরনের বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী স্ত্রী বিড়াল হিট সাইকেলে থাকা অবস্থায় একাধিক পুরুষ বিড়ালের সাথে মিলিত হয়ে। তেমনি জোসেফাইনও অজানা পুরুষ বিড়ালের সাথে মিলিত হয়েছে। ধারনা করা হয় এই পুরুষগুলো হয়তো বার্মিজ কোন বিড়ালের জাত হবে যেখানে একটি পুরুষ বিড়াল সিয়ামেজি পয়েন্ট কালারের ছিলো। |
জোসেফাইনের বাচ্চা গুলোর মাঝে একটি শান্ত স্বাভাবের স্নেহশীল বিড়াল ছানা ছিলো। যা দেখে মিস্টার আ্যান বেকার এদের ডেভলপ করার চিন্তা করেন। এইভাবে কয়েক জেনারেশন পরে মিস্টার আ্যান বেকার প্রথম বিড়ালের একটি স্বতন্ত্র জাত তৈরী করেছেন এবং এদের নাম করন করেন রাগডল। |
এই অসাধারণ পরিবার-বান্ধব জাতটি ১৯৯০-এর দশকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে। ১৯৯৩ সালে The Cat Fanciers Association (CFA) রাগডল বিড়ালগুলোকে স্বতন্ত্র জাত হিসেবে স্বিকৃতি দেয়। বর্তমানে রাগডল বিড়ালগুলো পাঁচ নাম্বার জনপ্রিয় বিড়ালের স্থান দখল করে আছে। |
ওজন: পুরষ রাগডল বিড়ালগুলোর স্ত্রী রাগডল থেকে একটু বেশী হয়। পুরুষ রাগডলের গড় ওজন 20 পাউন্ড বা ০৯ (নয়) কেজি এবং মহিলাদের ওজন ১০ থেকে ১৫ পাউন্ডের মধ্যে বা ৫-৭ কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে। |
উচ্চতা: রাগডল বিড়ালগুলো উচ্চতা কাঁধ থেকে পায়ের পাতা পর্যন্ত ১১-১৩ ইঞ্চি পর্যন্ত হয়ে থাকে। |
পশম: এদের পশম বেশী লম্বা না আবার খাটোও না। মানে মাঝারি দৈর্ঘ্যের। তবে এদের পশমগুলো সিল্কি টাইপের যার ফলে এদের স্পর্শ করলে অন্যরকম একটা অনুভূতি হয়। |
গায়ের রং: এদের গায়ের রং দুইটি বা তিনটি রঙ্গের মিশ্রনে হয়ে থাকে। |
চোখের রঙ: নীল চোখ |
গড় আয়ু: ১৩ থেকে ১৫ বছর। তবে সঠিক যত্ন করলে এরা আরো বেশী দিন বেঁচে থাকাতে পারে। |
সাইবেরিয়ান |
তুলতুলে সাইবেরিয়ান বিড়ালগুলো তাদের উচ্চতা এবং বন্ধুত্বপূর্ণ আচরনের জন্য সকলের কাছেই প্রিয়। বিশালাকার এই বিড়ালগুলোর আনুষ্ঠানিক নাম সাইবেরিয়ান ফরেস্ট ক্যাট। যদিও সংক্ষিপ্তভাবে সবাই এদের সাইবেরিয়ান বিড়াল বলেই ডাকে। সাইবেরিয়ান বিড়ালগুলোর সাথে নরওয়েজিয়ান ফরেস্ট ক্যাট এর অনেক বেশী মিল থাকায় অনেকে এদের দুইজনকে এক করে ফেলে। প্রকৃতপক্ষে এটি সাইবেরিয়ার একটি স্বতন্ত্র বিড়াল যা রাশিয়ার জাতীয় বিড়াল হিসেবে স্বীকৃত। |
Cats,বিড়াল,বিড়ালের জাত |
সাইবেরিয়ান বিড়ালগুলোর আদি নিবাস রাশিয়ায়। অর্থাৎ এই জাতটার বিকাশ ঘটেছে রাশিয়া থেকে। তবে ঠিক কবে রাশিয়ায় এই বিড়ালগুলোর বিকাশ ঘটেছে তা সঠিক ভাবে বলা বলা মুশকিল, তবে বিভিন্ন রাশিয়ান রূপকথার গল্প এবং শিশুদের বইয়ের উপর ভিত্তি করে ধারনা করা হয় সাইবেরিয়ান বিড়ালগুলো শত শত বছর ধরেই রাশিয়ায় রয়েছে। এইটা হতে পারে ১০০০ বছর এর কাছাকাছি বা তারো বেশী। সাইবেরিয়ান বিড়ালগুলোকে রাশিয়ায় জাতীয় সম্পদ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। |
সাইবেরিয়ান বিড়ালের কথা সর্বপ্রথম হ্যারিসন ওয়েয়ার নামক একজন লেখকের "Our Cats and All About Them" বইয়ে উল্ল্যেখ করা হয়েছে। এই বইটি ১৯৮৯ সালে প্রকাশিত হয়েছিলো। |
১৯৯০ সালে শীতল যুদ্ধের বাষ্প গলে গেলে যুক্তরাষ্ট্র সাইবেরিয়ান বিড়াল সর্ম্পকে জানতে পারে। লম্বা লম্বা পশমের তুলতুলে বিশাল আকারের এই সাইবেরিয়ান বিড়ালগুলো দেখে মার্কিনরা আমেরিকায় নিয়ে আসে। পরে ক্যাট ফ্যানসিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন (CFA) এবং দ্য ইন্টারন্যাশনাল ক্যাট অ্যাসোসিয়েশন (ICA) এদের স্বতন্ত্র জাত হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। মোটামুটি ১৯৯০ সাল থেকে সারা পৃথিবীতে এই সাইবেরিয়ান বিড়ালগুলোর জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেতে থাকে। |
ওজনঃ পুরুষ সাইবেরিয়ান বিড়ালের ওজন স্ত্রী সাইবেরিয়ান বিড়ালের ছেয়ে একটু বেশী হয়ে থাকে। প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষ সাইবেরিয়ান বিড়ালের ওজন হয় ৫-৮ কেজি এর মতো এবং প্রাপ্ত বয়স্ক স্ত্রী সাইবেরিয়ান বিড়ালের ওজন হয় ৪-৬ কেজি পর্যন্ত। |
উচ্চতাঃ সাইবেরিয়ান বিড়ালগুলো উচ্চতার দিক থেকে দেড় থেকে দুই ফুট পর্যন্ত হয়ে থাকে। |
পশমঃ এদের পশম লম্বা কিংবা মাঝারি আকৃতির হয় এবং বিভিন্ন রঙ্গের হয়ে থাকে। সাইবেরিয়ান বিড়ালগুলোর চোখের বর্ণও সব ধরনের রঙ্গের হয়ে থাকে। |
গড় আয়ুঃ সাইবেরিয়ান বিড়ালগুলো লম্বাজীবনধারী। এদের গড় আয়ুষ্কাল ১২-১৮ বছর। |
সাইবেরিয়ান বিড়ালদের সামনের পায়ের চেয়ে পিছনের পা আকারে একটু বেশী লম্বা হয়ে থাকে। যার ফলে এরা খুব দ্রুত দৌড়াতে পারে। |
সাইবেরিয়ান বিড়ালগুলো তুলনামূলক ভাবে অন্যান্য বিড়ালের আগেই প্রজনন পরিপক্কতা অর্জন করে। চার পাঁচ মাস বয়সেই এই বিড়ালগুলো প্রজনন করার জন্য প্রস্তুত হয়ে যায় এবং একসাথে ৫-৬টি বাচ্চার জন্ম দিয়ে থাকে। |
রাগামুফিন |
শান্ত ভদ্র জাতের বিড়াল খুজতে গেলে প্রথম সারিতে যে বিড়ালগুলোর নাম আসবে সেইখানে রাগামুফিন জাতের বিড়ালদের নাম প্রথম দিকে থাকবে।রাগামুফিন বিড়ালগুলো দেখতে অনেক সুন্দর, বিশেষ করে এদের শাররীক উচ্চতা, লম্বা ও মোটা মোটা পশম সবার দৃষ্টি আর্কষন করে।যদিও এই বিড়ালগুলো অনেকটা অলস তারপরেও গৃহপালিত বিড়াল হিসেবে অনেক জনপ্রিয়। জনপ্রিয়তার হিসেব বর্তমানে রাগামুফিন ৩৩ নাম্বার অবস্থানে আছে। |
রাগামুফিন গৃহপালিত বিড়ালের একটি স্বতন্ত্র জাত। গৃহপালিত আরেকটি বিড়ালের জাত রাগডল এর সাথে রাগামুফিন নাম দুইটার মাজে যেমন মিল আছে তেমনি এদের চেহারার, আকার আকৃতিরও মিল আছে। দেখতে দুইটা প্রায় একই রকম বলে, একসময় রাগামুফিন বিড়ালগুলোকে রাগডল বিড়ালের একটি রূপ হিসেবে মনে করা হতো। ১৯৯৪ সালে এটিকে স্বতন্ত্র জাত হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। দুইটি ভিন্ন জাতের মাঝে এতো বেশী মিল থাকার মূল কারন হচ্ছে দুইটা জাতের উৎপত্তি একই মায়ের গর্ভ থেকে হয়েছে। |
রাগামাফিন বিড়ালগুলো জন্ম হয়েছে রাগডল বিড়ালের সাথেই। ১৯৬০ দশকে জোসেফাইন নামক একটি লম্বা পশমের বিড়াল সম্ভবত পার্সিয়ানা কিংবা বার্মিজ জাতের বিড়াল অনেকগুলো বাচ্চার জন্ম দিয়েছে। সেই বাচ্চাগুলো থেকেই কয়েক প্রজন্ম বাদে রাগডল বিড়ালের জন্ম হয়েছে। সেই একই প্রজন্মের বিড়াল বাচ্চাগুলো হতে একটা আলাদা করে তার সাথে তুর্কিশ এনগোরা, হিমালয়ান, পার্সিয়ানা এবং লম্বা পশমের গৃহপালিত বিড়ালের সাথে ক্রস ঘটানো হয়। এর ফলে আকারে বড় এবং লম্বাপশমের একটি স্বতন্ত্র জাতের বিড়ালের জাত তৈরী হয়। ব্রিডার মিস্টার আ্যান বেকার প্রথমে এদের নাম রেখেছেন চেরুবীম । পরবর্তীতে এর নাম করা হয় রাগামাফিন। ২০০৩ সালে ক্যাট ফ্যানসিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন (CFA) রাগামুফিনকে স্বতন্ত্র জাত হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। |
রাগডলের সাথে রাগামুফিন এর মূল ব্যবধান হচ্ছে রাগডলের পয়েন্ট কালার। কালার পয়েন্ট হচ্ছে শরীরের মাথা, পায়ের পাতা, লেজ কিংবা কানে কালো বর্ণের একধরনের চাপ। রাগডল বিড়ালে এই কালার পয়েন্ট দেখা যায় এবং এই কালার পয়েন্ট রাগডলের জন্য স্বীকৃত। যেখানে রাগামুফিন যেকোন রং বা প্যাটার্নের হতে পারে। |
রাগামুফিন বিড়ালের বাচ্চাগুলোর জন্মের সময় সাদা বর্ণের হয়ে থাকে। বয়স বাড়ার সাথে সাথে এদের দেহে রঙ্গের প্যার্টান দেখা যায়। রাগামুফিন বিড়ালগুলো শাররীক ভাবে পরিপূর্ণ হতে সময় লাগে প্রায় চার বছর। |
ওজনঃ ০৭ থেকে ০৯ কেজি। |
উচ্চতাঃ ১০ থেকে ১৫ ইঞ্চি। |
গড় আয়ুঃ ১২ থেকে ১৬ বছর। |
পশমঃ লম্বা। |
দামঃ রাগামুফিন বিড়ালগুলো তুলনামূলক ভাবে অনেক দামী। খাটি জাত এবং ভৌগলিক অবস্থান ভেদে এদের দাম ৬০০-১৩০০ ডলার পর্যন্ত হয়ে থাকে। |
বিড়াল প্রজাতির সংজ্ঞা |
বিড়াল প্রজাতি হল বিড়ালদের একটি দল যারা শারিরীক এবং আচরণগত বৈশিষ্ট্যগুলির একটি বিভাজন তৈরি করে যা সমস্ত সেই বিড়ালের সমস্ত জাত জুড়ে সামঞ্জস্যপূর্ণ। |
বিড়াল প্রজননের ইতিহাস |
বিড়ালগুলি 10,000 বছরেরও বেশি আগে প্রথম গৃহপালিত হয়েছিল এবং সময়ের সাথে সাথে, তারা বেছে বেছে নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্যের জন্য প্রজনন করেছিল, যেমন কোটের রঙ, শরীরের আকৃতি এবং আচরণ। ক্যাট ফ্যান্সিয়ারস অ্যাসোসিয়েশন (সিএফএ) 1906 সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এবং তারপর থেকে, এটি 40 টিরও বেশি বিভিন্ন বিড়ালের প্রজাতির জন্য প্রজনন মান প্রতিষ্ঠা করেছে। |
বিভিন্ন বিড়াল প্রজাতির ওভারভিউ |
সিএফএ, দ্য ইন্টারন্যাশনাল ক্যাট অ্যাসোসিয়েশন (টিআইসিএ) এবং আমেরিকান ক্যাট ফ্যান্সিয়ার অ্যাসোসিয়েশন (এসিএফএ) এর মতো বিভিন্ন সংস্থার দ্বারা স্বীকৃত 100 টিরও বেশি বিড়ালের জাত রয়েছে। এই বিভাগে, আমরা তাদের শারীরিক এবং আচরণগত বৈশিষ্ট্য সহ সবচেয়ে জনপ্রিয় কিছু বিড়াল প্রজাতির একটি ওভারভিউ প্রদান করব। |
বিড়াল-প্রজাতির গুরুত্বের ব্যাখ্যা। |
ব্রিড স্ট্যান্ডার্ড হল বিড়াল সংস্থাগুলির দ্বারা প্রতিষ্ঠিত নির্দেশিকা যা একটি নির্দিষ্ট প্রজাতির আদর্শ শারীরিক এবং আচরণগত বৈশিষ্ট্যগুলি বর্ণনা করে। তারা ব্রিডার এবং বিড়াল মালিকদের জন্য একটি রেফারেন্স পয়েন্ট হিসাবে কাজ করে এবং একটি প্রজাতির বিশুদ্ধতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। |
বিড়ালের জাত সম্পর্কে প্রচলিত ভুল ধারণা |
বিড়ালের জাত সম্পর্কে বেশ কয়েকটি সাধারণ ভুল ধারণা রয়েছে, যেমন বিশ্বাস যে নির্দিষ্ট জাতগুলি সর্বদা হাইপোঅ্যালার্জেনিক বা নির্দিষ্ট জাতগুলি সর্বদা বন্ধুত্বপূর্ণ। এই বিভাগে, আমরা এই ভুল ধারণাগুলি সমাধান করব এবং বিড়ালের জাত সম্পর্কে সঠিক তথ্য প্রদান করব। |
বিড়াল প্রজাতির শারীরিক বৈশিষ্ট্য |
বিভিন্ন বিড়াল প্রজাতির শারীরিক বৈশিষ্ট্যের সংক্ষিপ্ত বিবরণ: প্রতিটি বিড়াল প্রজাতির তার অনন্য শারীরিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যেমন কোটের দৈর্ঘ্য, রঙ এবং টেক্সচার, সেইসাথে শরীরের আকৃতি এবং আকার। |
একটি বিড়ালের প্রজাতির কিভাবে তার শারীরিক বৈশিষ্ট্যের উপর ভিত্তি করে সনাক্ত করা যায় তার ব্যাখ্যা |
এই বিভাগে, আমরা তাদের শারীরিক বৈশিষ্ট্য যেমন কোটের রঙ এবং শরীরের আকৃতির উপর ভিত্তি করে একটি বিড়ালের প্রজাতির সনাক্ত করার জন্য টিপস প্রদান করব। |
মিশ্র জাতের বিড়ালের সাধারণ শারীরিক বৈশিষ্ট্য |
যদিও মিশ্র-প্রজাতির বিড়ালদের একটি নির্দিষ্ট প্রজাতির পদবি নাও থাকতে পারে, তারা এখনও শারীরিক বৈশিষ্ট্যগুলি প্রদর্শন করে যা তাদের জেনেটিক মেকআপের সূত্র দিতে পারে। |
বিড়াল প্রজাতির শারীরিক বৈশিষ্ট্য |
একটি বিড়ালের শারীরিক চেহারা তার বংশ সম্পর্কে কিছু সূত্র প্রদান করতে পারে। প্রতিটি বিড়াল প্রজাতির তার অনন্য শারীরিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যেমন কোট, চোখ এবং শরীরের আকৃতি, যা আপনাকে জাত শনাক্ত করতে সাহায্য করতে পারে। শারীরিক বৈশিষ্ট্যের উপর ভিত্তি করে আপনার বিড়ালের জাত শনাক্ত করতে আপনাকে সাহায্য করার জন্য এখানে কিছু টিপস রয়েছে: |
কোট: একটি বিড়ালের সবচেয়ে স্বীকৃত বৈশিষ্ট্যগুলির মধ্যে একটি হল এর কোট। বিভিন্ন বিড়াল প্রজাতির বিভিন্ন ধরনের কোট, রঙ এবং নিদর্শন রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, সিয়ামিজ বিড়ালের একটি সংক্ষিপ্ত, সূক্ষ্ম আবরণ রয়েছে, যখন পারস্যের লম্বা, পুরু এবং বিলাসবহুল পশম রয়েছে। একটি বিড়ালের কোট আপনাকে তার বংশ সম্পর্কে কিছু সূত্র দিতে পারে। আপনার বিড়ালের পশমের রঙ, টেক্সচার এবং দৈর্ঘ্য, সেইসাথে কোনও অনন্য নিদর্শন বা চিহ্নগুলিতে মনোযোগ দিন। |
চোখ: একটি বিড়ালের চোখের আকৃতি এবং রঙ তার বংশ সম্পর্কে কিছু সূত্র প্রদান করতে পারে। কিছু বিড়াল প্রজাতি, যেমন সিয়ামিজ, স্বতন্ত্র বাদাম-আকৃতির চোখ থাকে, অন্যদের, যেমন স্কটিশ ফোল্ডের চোখ থাকে গোলাকার। একটি বিড়ালের চোখের রঙও তার বংশের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, বেঙ্গল বিড়ালের উজ্জ্বল সবুজ বা সোনালি চোখ রয়েছে, অন্যদিকে সিয়ামের চোখ চকচকে নীল। |
শরীরের আকৃতি: বিড়ালের জাতগুলিও তাদের দেহের আকার এবং আকারে আলাদা। কিছু বিড়ালের জাত, যেমন মেইন কুন এবং নরওয়েজিয়ান ফরেস্ট বিড়াল বড় এবং পেশীবহুল, অন্যরা, যেমন সিয়ামিজ এবং কর্নিশ রেক্স, স্লিম এবং লাবণ্যময়। আপনার বিড়ালের শরীরের আকৃতি, আকার এবং অনুপাতের পাশাপাশি কানের আকৃতি বা লেজের দৈর্ঘ্যের মতো অনন্য শারীরিক বৈশিষ্ট্যগুলিতে মনোযোগ দিন। |
বিড়াল প্রজাতির আচরণগত বৈশিষ্ট্য |
তাদের শারীরিক চেহারা ছাড়াও, বিড়াল প্রজাতিদের বিভিন্ন আচরণগত বৈশিষ্ট্যও রয়েছে। কিছু বিড়ালের জাত আরও কণ্ঠস্বর, অন্যরা আরও স্বাধীন। এখানে কিছু টিপস রয়েছে যা আপনাকে তার আচরণের উপর ভিত্তি করে আপনার বিড়ালের জাত সনাক্ত করতে সহায়তা করবে: |
ব্যক্তিত্ব: একটি বিড়ালের ব্যক্তিত্ব তার বংশ সম্পর্কে কিছু সূত্র প্রদান করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, সিয়ামিজ বিড়াল কথাবার্তা এবং দাবিদার হওয়ার জন্য পরিচিত, যখন ফার্সি আরও শান্ত এবং স্নেহপূর্ণ। আপনার বিড়ালের মেজাজ, আচরণ এবং পছন্দগুলির পাশাপাশি কোনও অনন্য ব্যক্তিত্বের বৈশিষ্ট্যগুলিতে মনোযোগ দিন। |
খেলার ধরন: বিভিন্ন বিড়ালের প্রজাতির খেলার ধরনও আলাদা। কিছু বিড়াল আরও উদ্যমী এবং কৌতুকপূর্ণ, অন্যরা আরও শান্ত এবং আশেপাশে থাকা উপভোগ করে। আপনার বিড়ালের খেলার শৈলী এবং পছন্দগুলির পাশাপাশি কোনও অনন্য আচরণের নিদর্শন বা অদ্ভুততার দিকে মনোযোগ দিন। |
কণ্ঠস্বর: একটি বিড়ালের ময়ূর শব্দও এর বংশ সম্পর্কে কিছু সূত্র প্রদান করতে পারে। কিছু বিড়াল প্রজাতি অন্যদের চেয়ে বেশি কণ্ঠস্বর বলে পরিচিত, অন্যদের অনন্য কণ্ঠস্বর রয়েছে। আপনার বিড়ালের মিউয়ের শব্দ এবং ফ্রিকোয়েন্সি, সেইসাথে যে কোনও অনন্য কণ্ঠস্বর, যেমন চিপস বা ট্রিলসের দিকে মনোযোগ দিন। |
বিড়াল প্রজাতির জন্য জেনেটিক্স এবং ডিএনএ পরীক্ষা |
জেনেটিক্স বিড়াল প্রজননে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, এবং ডিএনএ পরীক্ষা একটি বিড়ালের জাত সনাক্ত করার একটি ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয় উপায় হয়ে উঠছে। ডিএনএ পরীক্ষা আপনাকে মিশ্র-প্রজাতির বিড়ালের জাত শনাক্ত করতে বা বিশুদ্ধ জাত বিড়ালের জাত নিশ্চিত করতে সাহায্য করতে পারে। একটি বিড়ালের জাত শনাক্ত করার জন্য ডিএনএ পরীক্ষা ব্যবহার করার সময় এখানে কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে: |
ডিএনএ টেস্টের ধরন: বিড়ালের জাত শনাক্ত করার জন্য বিভিন্ন ধরনের ডিএনএ পরীক্ষা পাওয়া যায়, যার মধ্যে রয়েছে ব্রিড-নির্দিষ্ট পরীক্ষা এবং মিশ্র-প্রজাতির পরীক্ষা। ব্রিড-নির্দিষ্ট পরীক্ষাগুলি একটি বিশুদ্ধ জাত বিড়ালের জাত শনাক্ত করতে পারে, যখন মিশ্র-প্রজাতির পরীক্ষাগুলি আপনাকে মিশ্র-প্রজাতির বিড়ালের জাত সনাক্ত করতে সাহায্য করতে পারে। |
সুবিধা এবং সীমাবদ্ধতা: ডিএনএ পরীক্ষা একটি বিড়ালের জাত সনাক্ত করার জন্য একটি দরকারী টুল হতে পারে, তবে এর কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। |