text
stringlengths
0
4.32k
বিড়াল কি রসুন খেতে পারে? মানুষের জন্য রসুন খুবই উপকারী। এটি খাবারে আলাদা স্বাদ এবং সুগন্ধ যুক্ত করে থাকে। বাজারে কাঁচা রসুন, রসুনের আচার, রসুনের গুড়া সহ বিভিন্ন ভাবে পাওয়া যায়। বিড়াল মানুষের জন্য খাবারে আলাদা স্বাদ যুক্ত করলেও বিড়ালের জন্য এটা বিপজ্জনক হতে পারে।
বিড়ালের জন্য কি রসুন বিপজ্জনক?
রান্না করা হোক কিংবা কাঁচা রসুন, উভয়ই বিড়ালের জন্য বিষাক্ত। আপনার বিড়ালকে কোন ভাবেই কোন কারণে রসুন খাওয়ানো উচিত হবেনা। যেমন-
রসুনের আচার
রসুনের সালাদ
রসুনের পাউডার
রসুন দিয়ে রান্না করা তরকারি কিংবা তার ঝোল
এমনকি রসুন দিয়ে বাচ্চাদের জন্য তৈরিকৃত খাবারও বিড়ালকে খেতে দেওয়া উচিত না।
রসুন এলিয়াম (Allium) গোত্রের একটি বাল্ব জাতীয় সবজি। পিঁয়াজ, পিঁয়াজজাতীয় গাছ এসকল কিছুই এই গোত্রের অন্তর্ভুক্ত। এ ধরনের কোন সবজিই বিড়ালকে খাওয়ানো উচিত না।
রসুনে সোডিয়াম এন-প্রোপাইল থায়োসালফেট নামে একটি বিষাক্ত যৌগ রয়েছে। এই টক্সিন লোহিত রক্ত ​​কণিকার ক্ষতি করে, লোহিত রক্ত কণিকাকে ভঙ্গুর করে তোলে। একটা সময় এই যৌগ লোহিত রক্ত কণিকাকে ভেঙ্গে ফেলে। এটাকে হেমোলাইসিস বলা হয়ে থাকে। হেমোলাইসিসের ফলে প্রস্রাব বিবর্ণ হয়ে লাল বা বাদামী রঙ এর হয়ে যায়। এছাড়া রক্তের স্বল্পতাও দেখা যায়। এছাড়া এনিমিয়া হতে পারে। এনিমিয়া অর্থ হলো শরীর অর্গ্যানগুলো পর্যাপ্ত অক্সিজেন পায় না ফলে সঠিক ভাবে কাজ করা বন্ধ করে দিতে পারে এবং মৃত্যু হতে পারে।
আপনার বিড়ালের জন্য রসুন খুবই বিপজ্জনক হতে পারে। যদি আপনার বিড়াল আপনার অসবাধানতা বশতঃ রসুন খেয়ে ফেলে তাহলে দেরি না করে দ্রুত কোন পশু চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান।তার অসুস্থতার লক্ষণের জন্য অপেক্ষা করবেন না। রসুনের বিষাক্ততার কারণে আপনার বিড়াল মৃত্যু ঝুঁকিতে পড়তে পারে।
রসুন বিড়ালের জন্য কতটা বিষাক্ত?
রসুন বিড়ালের জন্য পিঁয়াজের চেয়ে পাঁচ গুণ বেশি ক্ষতিকর। বিড়ালের আকার ছোট হওয়ার কারণে এবং রসুনের ক্ষমতা অনেক বেশি হওয়ার কারণে অল্প পরিমানে খেলেও মারাত্মক বিষক্রিয়া হতে পারে।
গড় হিসেব করলে একটি ১০-১২ পাউন্ড ওজনের বিড়ালের জন্য রসুনের একটি ৫-৭ গ্রাম ওজনের ছোট টুকরো বিড়ালের দেহে বিষক্রিয়া করার জন্য যথেষ্ট। অর্থাৎ দেড় চা চামচ পরিমাণ ব্লেন্ড করা রসুন কিংবা ১/৮ চা চামচ পরিমাণ রসুনের পাউডার একটি বিড়ালের দেহে বিষক্রিয়া করতে পারে।
রান্না করা বা রসুনজাত কোন খাবারে রসুনের পরিমাণ নির্ধারণ করা সম্ভব না। তাই আপনার বিড়ালকে এ জাতীয় খাবার খেতে দিবেন না। যদি অসবাধানতা বশতঃ আপনার বিড়াল কখনো রসুন জাত খাবার খেয়ে ফেলে তাহলে তাকে কোন পশু চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া উত্তম।
বিড়ালের দেহে রসুনের বিষক্রিয়ার লক্ষন
যদি আপনার বিড়াল রসুন খেয়ে ফেলে তাহলে একদিনের মধ্যে কিছু লক্ষণ দেখা যাবে। কখনো কখনো কয়েকদিন পর এই লক্ষনগুলো দেখা যেতে পারে। চলুন জেনে নিই কি কি লক্ষণ দেখা দিতে পারে-
বমি করা
ডায়রিয়া হওয়া
ক্ষুদামন্দা
দাঁতের মাড়ি ফ্যাকাশে গোলাপি বা হলুদ অথবা সাদা হয়ে যাওয়া
প্রস্রাবের রঙ লাল বা বাদামী হয়ে যাওয়া
ঘন ঘন নিঃশ্বাস নেওয়া
হার্টবিট বেড়ে যাওয়া
বিড়াল রসুন খেলে কি করবেন?
বিড়াল অল্প পরিমাণে রসুন খেলেও তার বিষক্রিয়া হতে পারে। আপনার বিড়াল যদি ভুল ক্রমে রসুন খেয়ে ফেলে তাহলে তাকে অবিলমে পশু চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান। কি পরিমাণ রসুন খেয়েছে তা নির্ণয় করার চেষ্টা করুন। সম্ভব হলে বিড়াল যে রসুন জাত খাবার খেয়েছে তার নমুনা সাথে নিয়ে নেন।
বিড়াল রসুন খেয়ে ফেললে তাকে বাড়িতেই চিকিৎসা দেওয়ার চেষ্টা করবেন না। তাকে জোর করে বমি করানোর চেষ্টা করবেন না। তাকে পশু চিকিৎসকের কাছে নিয়া যাওয়া শ্রেয়। সম্ভব হলে পশু চিকিৎসককে বিস্তারিত বলুন। এতে পশু চিকিৎসক পরিস্থিতি বুঝে সঠিক চিকিৎসা দিতে পারবেন।
বিড়াল রসুন খেয়ে ফেললে চিকিৎসা
বিড়াল রসুন খেয়ে ফেললে বিড়ালের দেহে বিষক্রিয়া হতে পারে। বিষক্রিয়া হয়েছে কিনা তা নির্ণয় করার জন্য পশু চিকিৎসকরা সাধারনত অসুস্থতার লক্ষণ এবং রক্তের নমুনার মাইক্রোস্কোপিক পরীক্ষার মাধ্যমে করে থাকেন। রসুনের বিষাক্ত যৌগ (সোডিয়াম এন-প্রোপাইল থায়োসালফেট) লোহিত রক্ত কণিকাকে ভেঙ্গে ফেলে। এটা মাইক্রোস্কোপিক পরীক্ষার মাধ্যমে বোঝা যায়।
যদি আপনার বিড়াল রসুন খাওয়ার দুই ঘন্টার মধ্যে পশু চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে পারেন তাহলে খুবই ভালো হয়। পশু চিকিৎসক বিড়ালকে বমি করানোর চেষ্টা করতে পারে। তবে বিড়ালদেরকে জোর করে বমি করানো কঠিন এবং এটা ক্ষতিকরও বটে।
বমি করানোর বিকল্প
বিড়াল রসুন খেয়ে ফেললে আর তাকে জোর করে বমি করানোর চেষ্টা করা বিড়ালের জন্য ক্ষতিকর। তাই পশু চিকিৎসক বিকল্প চিকিৎসা পদ্ধতি গুলোর মাধ্যমে চেষ্টা করতে পারেন। আপনার বিড়ালের পেটের টক্সিন গুলোকে নিষ্ক্রিয় করার জন্য এক্টিভেটেট চারকোল পদ্ধতি এপ্লাই করতে পারে। বিড়ালের অবস্থা গুরুতর হলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হতে পারে।
অল্প পরিমাণে রসুন খেলে আর বিষক্রিয়া হলে বেশিরভাগ বিড়ালই পুনরায় সুস্থ হয়ে যায়। তবে কখনো কখনো রসুনের বিষক্রিয়া বিড়ালের জন্য মারাত্মক হতে পারে। তাই বিড়ালকে রসুন বা রসুন জাত খাবার থেকে দূরে রাখুন। ভুলবশতঃ বিড়াল এগুলো খেয়ে ফেললে তাকে পশুচিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান এবং তার পরামর্শ অনুযায়ী কাজ করুন।
বিড়াল ছানাকে কি কি খাওয়াবেন? বিড়াল ছানাদের হাড় শক্তিশালী, পেশী বৃদ্ধি এবং মস্তিষ্কের সঠিক বিকাশের জন্য এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজন সঠিক পুষ্টি। বাজারে বিভিন্ন রকমের ক্যাট ফুড পাওয়া যায়। এই ক্যাট গুলোর মধ্যে কিছু ক্যাট ফুড রয়েছে নির্দিষ্ট বয়সের বিড়ালের জন্য এবং কোন বয়সের জন্য এই ক্যাট ফুড তৈরি করা হয়ছে তা ক্যাট ফুড এর প্যাকেটে উল্লেখ করা থাকে।
আবার অনেক ক্যাট ফুড রয়েছে যা সকল বয়সের বিড়ালই খেতে পারে। বাচ্চা বয়সের পর্যাপ্ত পুষ্টিকর খাবার এর উপর নির্ভর করে বিড়ালের পরবর্তী জীবনের স্বাস্থ্য অবস্থা। অর্থাৎ বিড়াল ছানাকে পুষ্টিকর খাবার খাওয়ানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনি আপনার বিড়ালকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান সমৃদ্ধ খাবার খাওয়াবেন নাকি পরবর্তীতে তাকে বিভিন্ন অসুস্থতার জন্য কয়দিন পর পর ভেটের কাছে নিয়ে যাবেন, মেডিসিন দিবেন এটা নির্ভর করে আপনার উপর।
আপনার বিড়াল ছানার ভালোর জন্যই বিড়াল ছানার দৈহিক বৃদ্ধির ক্ষেত্রে কি কি পুষ্টি উপাদান প্রয়োজন তা জেনে রাখা উচিত। প্রয়োজনীয় এই পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ খাবার গুলো বিড়াল ছানার সঠিক দৈহিক বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সহায়ক।
কার্বোহাইড্রেট এবং প্রোটিন
আপনি, নিশ্চই জানেন যে, বিড়াল একটি মাংসাশী প্রাণি। তারা কার্বোহাইড্রেট বা শাকসবজির উপর নির্ভর করেনা তাই প্রাণিজ আমিষ আপনার বিড়াল ছানার প্রধান খাদ্য উপদান হওয়া উচিত। যদি আপনার বিড়াল সঠিক পরিমাণে প্রাণিজ আমিষ না পায় তাহলে তার দেহে ঘাটতি হবে আর সেই ঘাটতি পূরণ করার প্রয়াসে তার নিজের পেশী ভেঙে যাবে। প্রাণিজ আমিষ দেহের মাংসপেশী এবং টিস্যু বৃদ্ধিতে সহয়তা করে এবং টিস্যু ব্লক তৈরি করতে প্রয়োজনীয় অ্যামিনো এসিড সরবরাহ করে।
শরীরে বিভিন্ন ধরনের অ্যামিনো এসিড রয়েছে। কিছু অ্য্যামিনো এসিড অন্যান্য অ্যামিনো এসিডের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। যেমন- বিড়াল ছানা এবং বিড়ালের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অ্যামিনো এসিড হলো টরিন (Taurine)। হৃদপিণ্ড, দৃষ্টিশক্তি এবং প্রজনন ক্ষমতায় গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করে টরিন নামক এই অ্যামিনো এসিড। এর অভাবে বিড়ালের দৃষ্টিশক্তি কমে যায় এবং বিভিন্ন ধরনের কার্ডিয়াক সমস্যায় ভুগে থাকে। এই অ্যামিনো এসিড শুধু মাত্র মাংসে পাওয়া যায়। তাই বলা যায় মাংস জাতীয় খাবার বিড়ালের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
কার্বোহাইড্রেট এবং শস্য দিয়ে প্রচুর ক্যাটফুড তৈরি করা হয়। যদিও এগুলোকে এড়িয়ে যাওয়া কঠিন তবে কার্বোহাইড্রেট এর পরিমাণ কম দিয়ে এধরনের ক্যাট ফুড তৈরি করা উচিত। অত্যাধিক মাত্রায় কার্বোহাইড্রেটের কারণে বিড়ালের দেহের অন্ত্রের নানা রকম সমস্যা হতে পারে এবং বিড়ালের ওজন অত্যাধিক বেড়ে যেতে পারে।
ফ্যাট
ফ্যাট কমবয়সী বিড়ালদের জন্য খুবই গুরত্বপূর্ণ খাদ্য উপাদান। ফ্যাট, ভিটামিন এ, ডি, ই এবং কে এর মত গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিনগুলোকে শুষে নিতে সাহায্য করে এবং খাবারে বাড়তি স্বাদ যোগ করে। ফ্যাট জাতীয় খাবার বিড়ালের দেহের শক্তির যোগান দেয় , ফ্যাট জাতীয় খাবার বিড়ালের ত্বক ও পশম চকচকে রাখতে প্রয়োজনীয় তেল এর যোগান দেয়। ডায়েটে ফ্যাট জাতীয় খাবারের পরিমান কমিয়ে দিলে বিড়ালের ত্বক শুষ্ক এবং আঁশযুক্ত হয়ে যতে পারে এবং বিড়ালের ত্বকে সংক্রমণের সম্ভাবনা বেড়ে যেতে পারে।
বিড়াল ছানার সুস্বাস্থ্য এবং সঠিক দৈহিক বৃদ্ধির জন্য ফ্যাটি এসিড এবং ফ্যাট খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে যেসকল খাবারে প্রচুর পরিমানে অ্যারাকিডোনিক ফ্যাটি এসিড (Arachidonic fatty acids) রয়েছে সেসকল খাবার বিড়াল ছানাকে খাওয়ানো উচিত। এই খাদ্য উপাদান রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে এবং ত্বকের বৃদ্ধি ঘটায়। বিড়ালছানার দেহের ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত লিনোলিক এসিড ( Linoleic acid) প্রয়োজন ইনফ্লেমাটরি রেসপন্সের জন্য।
ভিটামিন এবং মিনারেল
বিড়ালের হাড় ও দাঁতের সঠিক বিকাশের জন্য ভিটামিন এবং মিনারেল যেমন- ক্যালসিয়াম, ফসফরাস এবং ভিটামিন ডি প্রয়োজন। এই পুষ্টি উপাদান গুলো কঙ্কালের সঠিক বিকাশ এবং গঠনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কমবয়সে পর্যাপ্ত পরিমানে ভিটামিন এবং মিনারেল পাওয়া যায় এমন খাবার না খাওয়ালে বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে বিড়াল বিভভিন ধরনের জয়েন্ট এবং হাড়ের সমস্যায় ভুগতে পারে। বিড়ালছানা এবং বিড়ালদের জন্য থিয়ামিন এবং নিয়াসিন সহ ভিটামিন এ এবং বি এর বিশেষ প্রয়োজন রয়েছে।
কি কি এড়িয়ে চলবেন?
বিড়াল ছানার খাবারের ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম মেনে চলা জরুরী। বেশ কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো বিড়াল ছানাকে দেওয়া উচিত না। টুনা মাছ বা এ জাতীয় অন্যান্য মাছ বিড়ালকে খেতে দিবেন না। এটা টিনজাত হোক অথবা তাজা। এগুলো একদমই দিবেন না, এতে বিড়াল থায়ামিন ডিফিসিয়েন্সিতে (Thiamine deficiency) ভুগতে পারে। বিড়ালকে দুধ খেতে দিলে এর কারণে ডায়রিয়া হত্যে পারে। কাঁচা মাংস, সালমোনেলা (Salmonella) এবং ইকলির (E.coli) একটি সাধারণ উৎস। কাঁচা ডিম, যা বায়োটিনের ঘাটতি সৃষ্টি করতে পারে এবং এটা সালমোনেলার ​​উৎসও বটে।
কুকুর
কুকুর কার্নিভোরা অর্থাৎ শ্বাপদ বর্গ ভুক্ত এক প্রকারের মাংসাশী স্তন্যপায়ী প্রাণী।
প্রায় ১৫ হাজার বছর আগে একপ্রকার নেকড়ে মানুষের শিকারের সঙ্গী হওয়ার মাধ্যমে গৃহপালিত পশুতে পরিণত হয়। তবে কারও কারও মতে কুকুর মানুষের বশে আসে প্রায় ১০০,০০০ বছর আগে। অবশ্য অনেক তথ্যসূত্র অনুযায়ী কুকুরের গৃহ পালিতকরণের সময় আরও সাম্প্রতিক বলে ধারণা প্রকাশ করে থাকে। নেকড়ে ও শিয়াল কুকুরের খুবই ঘনিষ্ঠ প্রজাতি (নেকড়ে আসলে একই প্রজাতি)। তবে গৃহপালিত হওয়ার পরে কুকুরের বহু বৈচিত্র্যময় জাত তৈরি হয়েছে, যার মধ্যে মাত্র কয়েক ইঞ্চি উচ্চতার কুকুর (যেমন চিহুয়াহুয়া) থেকে শুরু করে তিন ফুট উঁচু (যেমন আইরিশ উলফহাউন্ড) রয়েছে।
কুকুর এর দেহ
গৃহপালিত কুকুর (Dog) বিভিন্ন আচরণ, সংবেদনশীল ক্ষমতা এবং শারীরিক বৈশিষ্ট্যের জন্য সহস্রাব্দ ধরে বেছে বেছে প্রজনন করা হয়েছে।
আধুনিক কুকুরের জাতগুলি অন্যান্য গৃহপালিত প্রাণীর তুলনায় আকার, চেহারা এবং আচরণে বেশি বৈচিত্র্য দেখায়। কুকুর (Dog) শিকারী এবং মেথর; অন্যান্য অনেক শিকারী স্তন্যপায়ী প্রাণীর মতো, কুকুরের শক্তিশালী পেশী, মিশ্রিত কব্জির হাড়, একটি কার্ডিওভাসকুলার সিস্টেম যা স্প্রিন্টিং এবং সহনশীলতা উভয়কেই সমর্থন করে এবং ধরা এবং ছিঁড়ে ফেলার জন্য দাঁত রয়েছে।
কুকুর এর শারীরিক দৈর্ঘ্য
কুকুর (Dog) উচ্চতা এবং ওজন অত্যন্ত পরিবর্তনশীল. সবচেয়ে ছোট পরিচিত প্রাপ্তবয়স্ক কুকুরটি ছিল একটি ইয়র্কশায়ার টেরিয়ার, যেটি কাঁধে মাত্র 6.3 সেমি (2.5 ইঞ্চি), মাথা এবং শরীরের দৈর্ঘ্য 9.5 সেমি (3.7 ইঞ্চি) ছিল,
এবং ওজন মাত্র 113 গ্রাম (4.0 oz)। সবচেয়ে বড় পরিচিত কুকুরটি ছিল সেন্ট বার্নার্ড যার ওজন ছিল 167.6 কেজি (369 পাউন্ড) এবং থুতু থেকে লেজ পর্যন্ত 250 সেমি (98 ইঞ্চি)। সবচেয়ে লম্বা কুকুরটি একটি গ্রেট ডেন যা কাঁধে 106.7 সেমি (42.0 ইঞ্চি) দাঁড়িয়ে থাকে।
কুকুর এর ইন্দ্রিয়
কুকুরের ইন্দ্রিয়গুলির মধ্যে রয়েছে দৃষ্টি, শ্রবণশক্তি, গন্ধের অনুভূতি, স্বাদ অনুভূতি, স্পর্শ এবং পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্রের সংবেদনশীলতা। আরেকটি গবেষণায় বলা হয়েছে যে কুকুররা পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্র দেখতে পারে।
কুকুরের দাঁত
কুকুরের দুই সেট দাঁত থাকে। 28টি পর্ণমোচী দাঁত ছয় থেকে আট সপ্তাহ বয়সের মধ্যে ফুটে ওঠে এবং কুকুরছানা ছয় থেকে সাত মাস বয়সে এই পর্ণমোচী দাঁতগুলি 42টি প্রাপ্তবয়স্ক দাঁত দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয়।
স্থায়ী দাঁতের মধ্যে রয়েছে ইনসিসর, যা নিপ এবং কামড়াতে ব্যবহৃত হয়; ক্যানাইনস, যা মাংস ছিঁড়ে ফেলে; এবং premolars এবং molars, যা শিয়ার এবং চূর্ণ। সংক্ষেপে, একটি কুকুরের দাঁত অস্ত্র এবং খাদ্য কাটা বা ছিঁড়ে ফেলার সরঞ্জাম হিসাবে কাজ করে।
ক্যানাইনগুলি হল উপরের এবং নীচের ফ্যাং যার জন্য কুকুর (Dog) পরিবারের নামকরণ করা হয়েছিল। বেশিরভাগ মাংসাশী প্রাণীর মতো, দাঁতগুলি উঁচু-মুকুটযুক্ত এবং সূঁচযুক্ত, অনেক তৃণভোজী প্রাণীর চওড়া, পিষে যাওয়া দাঁতের মতো নয়
মানুষের সাথে কুকুরের সম্পর্ক
মানুষ এবং কুকুরের সম্পর্ক একটি পুরাতন এবং পরিপূর্ণ প্রাণী সম্পর্ক। মানুষ খুব পুরাতন সময় থেকেই কুকুরকে নিয়ে সম্পর্ক রাখছে। এই সম্পর্ক বিভিন্ন সময়ে ভিন্ন ভিন্ন উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়েছে। কুকুরকে মানুষ পালন করে এবং তাদের সাথে ভালো সম্পর্ক রাখতে হয়।
নিচে কুকুর ও মানুষের সম্পর্কে কিছু উল্লেখযোগ্য তথ্য দেয়া হলো:
কুকুর হিসেবে মানুষ তাদের পালন করে এবং সম্পর্ক রাখে। সাধারণত কুকুর একটি পালতু প্রাণী হিসাবে পরিচিত।
কুকুর মানুষের জন্য বিভিন্ন কাজে সাহায্যকারী হতে পারে। এগুলোর মধ্যে সম্পর্ক রাখা, নিরাপত্তা বিষয়ক কাজে সহায়তা, খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
কুকুরের জীবনকাল
কুকুরের জীবনকাল প্রকৃতির প্রতি নির্ভর করে ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে। সাধারণত এর জীবনকাল প্রথম সন্তান হওয়া পর্যন্ত বিভিন্ন পর্যায়ে ভাগ করা যায়।
নিচে কুকুরের জীবনকালের কিছু উল্লেখযোগ্য পর্যায় দেওয়া হলো:
১. জন্ম: কুকুর (Dog) জন্ম নিয়ে সাধারণত বিশেষ কিছু নেই। তারা সাধারণত ৮ থেকে ১২ সপ্তাহ পর্যন্ত মায়ের গর্ভে থাকে এবং এরপর জন্ম নেয়।
২. বাল্যবস্থা: কুকুরের বাল্যবস্থা প্রায় দুই মাস থেকে ছয় মাস পর্যন্ত সময় ধারণ করে। এই সময়ে কুকুর মা তার সন্তানকে শুষক খাবার খাওয়ানো শুরু করে দেয়। এছাড়াও কুকুর এই সময়ে আকার বা আকৃতি পরিবর্তন করে।
৩. যৌবন: কুকুরের যৌবনের সময় প্রায় ছয় মাস থেকে এক বছর পর্যন্ত হতে পারে।