inputs
stringlengths
8
2.28k
targets
stringlengths
2
6.41k
language
stringclasses
1 value
language_code
stringclasses
1 value
annotation_type
stringclasses
2 values
user_id
stringclasses
17 values
এই অনুচ্ছেদের বাকি অংশ লিখুন: আমির হওয়ার আগে তামিম কাতারের সশস্ত্র বাহিনীর ডেপুটি কমান্ডার-ইন-চীফ ছিলেন। তিনি ২০৩০ ভিশন প্রকল্পের সভাপতি এবং কাতার ২০২২ সুপ্রিম কমিটির প্রধান-যে কমিটি, আমিরাতে ২০২২ ফিফা বিশ্বকাপ
অনুচ্ছেদটির বাকি অংশ নিম্নরূপ হতে পারে: আমির হওয়ার আগে তামিম কাতারের সশস্ত্র বাহিনীর ডেপুটি কমান্ডার-ইন-চীফ ছিলেন। তিনি ২০৩০ ভিশন প্রকল্পের সভাপতি এবং কাতার ২০২২ সুপ্রিম কমিটির প্রধান-যে কমিটি, আমিরাতে ২০২২ ফিফা বিশ্বকাপ অনুষ্ঠান আয়োজনের দায়িত্বে নিয়োজিত। এছাড়া তিনি কাতার ইনভেষ্টমেন্ট অথোরিটিসহ দেশের বহু গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত।
Bengali
ben
re-annotations
98f0ae710378a0b5fe50df07cffcbde326a4d98f4f490c424be43b7f68f78f2d
একটি "রাফলেসিয়া" ফুল কি?
একটি রাফলেসিয়া ফুল বিশ্বের বৃহত্তম ফুল, যা ইন্দোনেশিয়ায় পাওয়া যায়। এর গন্ধ পচা মাংসের মতো এবং এটি মাংসাশী, পোকামাকড় খাওয়ায়
Bengali
ben
original-annotations
50e6c1c0b3b80bf3489010ce91c9799fd9ba2052bf2a3be39592fb970cf39916
হোয়াইট রেভ্যুলেশন কী?
হোয়াইট রেভ্যুলুশন হলো ইরানের তৎকালীন শাসক শাহ মোহাম্মদ রেজা শাহ পাহলভি কর্তৃক ১৯৬৩ সালে প্রবর্তিত একটি বড় সংস্কার কার্যক্রম। ইরানকে বিশ্ব অর্থনৈতিক পরাশক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে তিনি এ দীর্ঘমেয়াদি অর্থনৈতিক ও সামাজিক সংস্কার আনয়ন করেন। তার এ সংস্কার কার্যক্রমের উল্লেখযোগ্য দিক হলো— ভূমি সংস্কার (ভূস্বামীদের কাছ থেকে জমি কিনে কৃষকদের মাঝে সহজ শর্তে বিতরণ), বন ও পশুচারণ ভূমি জাতীয়করণ, সরকারি কল- কারখানার বেসরকারিকরণ, লভ্যাংশ বণ্টন (২০% লাভ শ্রমিকদের মাঝে বিতরণ), নারীদের ভোটাধিকার, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সংস্কার, পানি সম্পদের জাতীয়করণ ইত্যাদি। ইরানের তৎকালীন বৈষম্যমূলক সমাজব্যবস্থার উন্নয়ন তথা আধুনিকায়নে এ বিপ্লব বিশেষ ভূমিকা রাখে। রক্তপাতহীন কর্মযজ্ঞ বলেই হয়তো এটির এরূপ নামকরণ করা হয়।
Bengali
ben
original-annotations
98f0ae710378a0b5fe50df07cffcbde326a4d98f4f490c424be43b7f68f78f2d
নেপালি মেয়ে রিদিতা শর্মা চিকিৎসাবিজ্ঞানে পড়াশোনা করার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি হয়। সে কলেজের সামনে স্থাপিত একটি স্মৃতিস্তম্ভ দেখতে পায়। রিদিতা বাংলাদেশি বন্ধুদের কাছ থেকে জানতে পারল, স্তম্ভটি একটি ঐতিহাসিক আন্দোলনের স্মৃতি বিজড়িত। স্মৃতিস্তম্ভটির সাথে সম্পর্কিত আন্দোলনটি বাঙালিদের মধ্যে ঐক্য ও স্বাধীনতার চেতনা জাগিয়ে তুলেছিল— বিশ্লেষণ কর।
উদ্দীপকের স্মৃতিস্তম্ভ তথা শহিদ মিনারের সাথে সম্পর্কিত আন্দোলনটি হলো ভাষা আন্দোলন, যা পূর্ব পাকিস্তানের বাঙালির মধ্যে ঐক্য ও স্বাধীনতার চেতনা জাগিয়ে তুলেছিল। ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশভারত বিভক্ত হয়ে শুধু ধর্মের ভিত্তিতে পাকিস্তান ও ভারত রাষ্ট্রের সৃষ্টি হয়। কিন্তু পূর্ব পাকিস্তানের সংখ্যাগরিষ্ঠ বাঙালি মুসলিম হলেও তারা পশ্চিমাদের বৈষম্য ও অবহেলার শিকার হতে থাকে। বাঙালিরা ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর বৈষম্য ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রথম সোচ্চার হয়। ভাষা আন্দোলন প্রাথমিক পর্যায়ে মূলত একটি সাংস্কৃতিক আন্দোলন হিসেবে পরিচালিত হলেও ক্রমান্বয়ে তা রাজনৈতিক রূপ নিতে শুরু করে। ভাষার পাশাপাশি অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক বৈষম্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদও এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ভাষা আন্দোলন এভাবে ক্রমশ বাঙালি জাতিকে অভিন্ন জাতীয়তাবোধে ঐক্যবদ্ধ করে। ভাষা আন্দোলনের ফলে সাম্প্রদায়িক ও অগণতান্ত্রিক পাকিস্তান রাষ্ট্রের প্রতি পূর্ব বাংলার বাঙালির মোহ দ্রুত কেটে যেতে থাকে। নিজস্ব জাতিসত্তা সৃষ্টিতে ভাষা ও সংস্কৃতির গুরুত্ব তাদের কাছে অধিকতর স্পষ্ট হয়ে ওঠে। তারা আত্মপরিচয়ের ভিত্তিতে নিজস্ব রাজনীতি, অর্থনীতি, শিক্ষা, সংস্কৃতি গড়ে তোলার গুরুত্ব উপলব্ধি করে। এভাবে ভাষাকেন্দ্রিক এ আন্দোলনের মাধ্যমেই বাঙালি জাতীয়তাবাদের ভিত রচিত হয়, যা পরবর্তী সময়ে বাঙালির মধ্যে স্বাধীনতার চেতনা জাগিয়ে তোলে। উদ্দীপকের রিদিতা শর্মার দেখা স্মৃতিস্তম্ভটি বায়ান্নর ঐতিহাসিক ভাষা আন্দোলনের স্মৃতিবিজড়িত। ঐ আন্দোলন পরবর্তীকালে বাঙালির সব রাজনৈতিক আন্দোলনের পেছনে অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করেছে। সেই সাথে বাঙালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে প্রথমে স্বায়ত্তশাসন এবং চূড়ান্ত পর্যায়ে স্বাধীনতা আন্দোলনের পথে পরিচালিত করে। উপরের আলোচনা শেষে তাই বলা যায়, ভাষা আন্দোলন বাঙালি জাতিকে নিজস্ব আত্মপরিচয়ের ভিত্তিতে ঐক্যবদ্ধ করেছিল। আর এই একতা বিভিন্ন পর্ব পার হয়ে তাদের স্বাধীনতা এনে দেয়।
Bengali
ben
original-annotations
98f0ae710378a0b5fe50df07cffcbde326a4d98f4f490c424be43b7f68f78f2d
প্রযুক্তির উন্নয়ন ঘটলেও অপরাধপ্রবণতা রোধ করা সম্ভব হয়নি— মন্তব্যটির সত্যতা নিরূপণ করো।
প্রযুক্তির উন্নয়ন ঘটলেও অপরাধপ্রবণতা রোধ করা সম্ভব হয়নি— উক্তিটি সত্য। এর কারণ হলো প্রযুক্তি উন্নয়নে মানুষের জন্য সুফল বৃদ্ধি পাবার পাশাপাশি অপরাধীরা এ প্রযুক্তিকে তাদের অপরাধের হাতিয়ার করে তুলছে। তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে সংগঠিত বিভিন্ন অপরাধের মধ্যে সাইবার ক্রাইম, হ্যাকিং, প্লেজিয়ারিজম প্রভৃতি নতুন নতুন অপরাধের সৃষ্টি হয়েছে যা ব্যক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য ক্রমেই ব্যাপক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে। সুতরাং দেখা যাচ্ছে, প্রযুক্তির ব্যাপক উন্নয়ন মানুষের অপরাধপ্রবণতাকে দমন করতে সক্ষম হয়নি।
Bengali
ben
original-annotations
98f0ae710378a0b5fe50df07cffcbde326a4d98f4f490c424be43b7f68f78f2d
"নবান্ন উৎসব" শিরোনামে ১টি অনুচ্ছেদ লিখুন।
'নব' মানে নতুন আর 'অন্ন' মানে ভাত। নবান্ন শব্দটির অর্থ হচ্ছে নতুন চাল বা নতুন ভাত। হেমন্তকালে নতুন ধান কাটার পর গ্রামের মানুষ যে উৎসব করত তাই নবান্ন উৎসব নামে পরিচিত। একসময় এদেশে নবান্ন উৎসবের ঐতিহ্য ছিল। হেমন্তকালে নতুন ধান কেটে ঘরে তুললে গ্রামে গ্রামে এ উৎসব হতো। গ্রামের মানুষ নতুন ধানের পিঠা-পায়েস তৈরি করে এ উৎসব পালন করত। এ নবান্ন উৎসবের সাথে গ্রামের মানুষের আনন্দ, হাসি-কান্না জড়িত। কিন্তু কালের বিবর্তনে প্রাকৃতিক বিপর্যয় ও অনিয়মিত ঋতু পরিবর্তনের কারণে এখন আর নবান্ন উৎসব দেখা যায় না। সারাদেশের দু'একটি জায়গা ছাড়া নবান্ন উৎসব প্রায় বিলুপ্ত হয়ে গেছে বলা যায়। তবে ভিন্ন আঙ্গিকে নগর সভ্যতায় কোথাও কোথাও নবান্ন উৎসব দেখা যায়। বিশেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটে নবান্ন উৎসব পালিত হয়ে থাকে প্রতি বছর। এ উপলক্ষে দেশের সংস্কৃতিকর্মীর বিভিন্ন রকমের পিঠার প্রদর্শনী করে থাকে। এছাড়া দিনব্যাপী চলে দেশীয় ঐতিহ্যকে ধারণ করে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। নবান্ন উৎসব আমাদের বাঙালি জীবনে তাৎপর্য ও ঐতিহ্যময় উৎসব। এ উৎসব মানুষের মাঝে প্রাণের জোয়ার বয়ে আনে। বাঙালির ঐতিহ্য ও ইতিহাস ধরে রাখার জন্য এ উৎসব নিয়মিত পালন করা উচিত। এক্ষেত্রে সরকারি ও বেসরকারিভাবে সকলের এগিয়ে আসা উচিত।
Bengali
ben
original-annotations
98f0ae710378a0b5fe50df07cffcbde326a4d98f4f490c424be43b7f68f78f2d
নিম্নলিখিত শিরোনামে একটি নিবন্ধ লিখুন : এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ স্মিথ ও ওয়ার্নার
১২ মাসের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন ডেভিড ওয়ার্নার আর স্টিভ স্মিথ এছাড়া যিনি বল ট্যাম্পারিং করেছেন, সেই ক্যামেরন ব্যানক্রফটকে ৯ মাসের জন্য নিষিদ্ধ করেছে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থা। ওদিকে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগও স্টিভ স্মিথ ও ডেভিড ওয়ার্নারকে এবারের আসর থেকে নিষিদ্ধ করেছে। দুজনের মোট ১.৯ মিলিয়ন ডলারের চুক্তি রয়েছে। স্মিথের দল রাজস্থান রয়্যালস এবং ওয়ার্নারের দল সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ। এর আগেই চলমান ঘটনার প্রেক্ষিতে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের দল সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের অধিনায়কের পদ ছেড়ে দিয়েছেন ডেভিড ওয়ার্নার। এর আগে স্টিভ স্মিথও রাজস্থান রয়্যালসের অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেন। আজ দক্ষিণ আফ্রিকা ত্যাগ করবেন স্টিভ স্মিথ, ডেভিড ওয়ার্নার ও ক্যামেরন ব্যানক্রফট। কেপটাউন টেস্টের তৃতীয় দিন ইচ্ছাকৃত ভাবে বলের আকার নষ্ট করার অপরাধে স্টিভ স্মিথ ও ব্যানক্রফটকে শাস্তি দিয়েছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল। তবে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার দায়ে এই দুজন সহ, ডেভিড ওয়ার্নারকেও ফিরিয়ে নেয়া হয়েছে। আরো পড়ুন: হয়রানি রুখে দাঁড়ানো এক বাংলাদেশি নারীর গল্প একজন কূটনীতিক যখন গুপ্তচর হয়ে ওঠেন ৯ মাসের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন ক্যামেরন ব্যানক্রফট ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার সততা বিভাগের প্রধান ইয়াইন রয় এখন পর্যন্ত বল ট্যাম্পারিংয়ের সাথে অস্ট্রেলিয়ার কোচ ড্যারেন লেম্যানের সংশ্লিষ্টতা পাননি। যদিও সেদিনের ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে দ্বাদশ ব্যক্তি পিটার হ্যান্ডসকম্বের মাধ্যমে লেম্যান ব্যানক্রফটের কাছে বার্তা পাঠান। এরপর যে বস্তু দিয়ে বলের আকার পরিবর্তন করার চেষ্টা করেছেন ব্যানক্রফট সেটি তিনি লুকানোর চেষ্টা করেন। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাহী জেমস সাদারল্যান্ড জানান, লেম্যান এখনো পদত্যাগ করেননি এবং তার সাথে চুক্তি বহাল রাখবে দেশটির ক্রিকেট বোর্ড। জোহানেসবার্গে শুক্রবার শুরু হবে দুদলের মধ্যে চতুর্থ ও শেষ টেস্ট। এই ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার একাদশে থাকবেন ম্যাট রেনশ, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ও জো বার্নস। অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করবেন টিম পেইন। জানা গেছে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী ম্যালকম টার্নবুল, পৃষ্ঠপোষক ও ভক্তদের চাপের মুখেই স্মিথ, ওয়ার্নার ও ব্যানক্রফটকে দেশে ফিরিয়ে নিয়েছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া।
Bengali
ben
re-annotations
50e6c1c0b3b80bf3489010ce91c9799fd9ba2052bf2a3be39592fb970cf39916
অনুগ্রহ করে নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ুন এবং প্রশ্নের উত্তর দিন | অনুচ্ছেদ : বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা সবুজ আয়তক্ষেত্রের মধ্যে লাল বৃত্ত। সবুজ রং বাংলাদেশের সবুজ প্রকৃতি ও তারুণ্যের প্রতীক, বৃত্তের লাল রং উদীয়মান সূর্য, স্বাধীনতা যুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারীদের রক্তের প্রতীক। বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার এই রূপটি ১৯৭২ সালের ১৭ জানুয়ারি সরকারীভাবে গৃহীত হয়। প্রশ্ন : লাল রং কিসের প্রতীক ?
স্বাধীনতা যুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারীদের রক্ত |
Bengali
ben
re-annotations
50e6c1c0b3b80bf3489010ce91c9799fd9ba2052bf2a3be39592fb970cf39916
এক সপ্তাহের জন্য একটা বই ধার চেয়ে বন্ধুর কাছে চিঠি লেখ।
প্রিয় বন্ধু, আমি আশা করি তুমি ভালো আছো। আমিও ভালো আছি। আমি তোমাকে একটা কথা জিজ্ঞাসা করতে চাই। তুমি কি তোমার একটা বইটা আমাকে এক সপ্তাহের জন্য ধার দিতে পারো? আমি খুবই আগ্রহী এই বইটা পড়তে। আমি জানি তুমি এই বইটা পছন্দ করো, কিন্তু আমি তোমার কাছে ধার নিলে তোমার কোনো সমস্যা হবে না বলে আশা করি। আমি এই বইটা খুবই যত্ন করে পড়ব এবং এক সপ্তাহের মধ্যেই তোমাকে ফেরত দেব। তোমার অনুমতি পেলে আমি আজই তোমার বাসায় এসে বইটা নিয়ে যাব। তোমার উত্তরের অপেক্ষায় রইলাম। ধন্যবাদ।
Bengali
ben
original-annotations
98f0ae710378a0b5fe50df07cffcbde326a4d98f4f490c424be43b7f68f78f2d
একুশে পদক কী? ব্যাখ্যা করুন।
বাংলাদেশের একটি জাতীয় এবং দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার হলো একুশে পদক। বাংলাদেশের বিশিষ্ট ভাষাসৈনিক, ভাষাবিদ, সাহিত্যিক, শিল্পী, শিক্ষাবিদ, গবেষক, সাংবাদিক, অর্থনীতিবিদ, দারিদ্র্যবিমোচনে অবদানকারী, সামাজিক ব্যক্তিত্ব ও প্রতিষ্ঠানকে জাতীয় পর্যায়ে অনন্য অবদানের স্বীকৃতি প্রদানের উদ্দেশ্যে একুশে পদক প্রদান করা হয়। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের শহিদদের স্মরণে ১৯৭৬ সাল থেকে এই পদকের প্রচলন করা হয়েছে। ২০১৯ সাল পর্যন্ত ৪৮০ জন গুণী ব্যক্তি ছাড়াও ২টি প্রতিষ্ঠান একুশে পদক পেয়েছে। একুশে পদকে ২ লক্ষ টাকা, ১৮ ক্যারেট মানের ৩৫ গ্রাম স্বর্ণপদক এবং একটি সনদ প্রদান করা হয়। পদকটির ডিজাইন করেছেন শিল্পী নিতুন কুণ্ডু। প্রাথমিকভাবে নগদ অর্থ ২৫ হাজার টাকা দেওয়া হতো, কিন্তু বর্তমানে ২ লক্ষ টাকায় উন্নীত করা হয়েছে। ১৯৭৬ সালে প্রথমবারের মতো নয়জন গুণী ব্যক্তিকে একুশে পদক দেওয়া হয়। তাঁরা হলেন— কাজী নজরুল ইসলাম (সাহিত্য), আব্দুল কাদির (সাহিত্য), জসীমউদ্দীন (সাহিত্য), সুফিয়া কামাল (সাহিত্য), আবুল কালাম শামসুদ্দীন (সাংবাদিকতা), মুহম্মদ কুদরাত-ই-খুদা (শিক্ষা), আবদুস সালাম (সাংবাদিকতা), তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া (সাংবাদিকতা), মুহম্মদ মনসুর উদ্দিন (শিক্ষা)। মরণোত্তর একুশে পদক প্রদানের দৃষ্টান্তও লক্ষ করা যায়। পুরস্কারের বিভাগ মোটামুটি নির্দিষ্ট হলেও বিজয়ী ব্যক্তির সংখ্যা কিন্তু প্রতি বছর একই নাও হতে পারে। এ পর্যন্ত বছরে সর্বনিম্ন একজন থেকে সর্বোচ্চ পনেরো জন পুরস্কারের জন্যে নির্বাচিত হয়েছেন । সর্বশেষ একুশে পদক প্রদান করা হয়েছে ২০১৯ সালে। এ বছর একুশে পদকপ্রাপ্তদের সংখ্যা ২১। একুশে পদক জাতীয় কৃতী সন্তানদের সম্মানিত করার এক মহৎ উদ্যোগ হিসেবে সর্বমহলে স্বীকৃত।
Bengali
ben
original-annotations
98f0ae710378a0b5fe50df07cffcbde326a4d98f4f490c424be43b7f68f78f2d
নিচের লেখাটি পড় এবং নিচের প্রশ্নের উত্তর দাও বুর্জ আল-আরব সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে অবস্থিত একটি হোটেল। এটি বিশ্বের ৪র্থ সুউচ্চ হোটেল। সমুদ্রের তীর থেকে ২৮০ মিটার সমদ্রের ভেতরে কৃত্রিম একটি দ্বীপের উপর এটি নির্মাণ করা হয়েছে। আরবের পুরনো পালতোলা জাহাজের কাঠামোর অনুকরণে বানানো ভবনটি আরবের ঐতিহ্যের প্রতিনিধি। আরববিশ্বের অন্যতম ধনাঢ্য ব্যক্তি আরব আমিরাতের শাসক শেখ নাহিয়ানের পারিবারিক সম্পত্তি বুর্জ আল আরব। ডেইলি টেলিগ্রাফ-এর বিলাসবহুল ভ্রমন বিষয়ক ম্যাগাজিন,আলট্রা ট্রাভেল-এর পাঠকদের ভোটে “বুর্জ আল আরব” পৃথিবীর একটি বিলাস বহুল হোটেল হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে। হোটেলটি 'বেষ্ট হোটেল ইন দ্য ওয়ার্ল্ড' এবং বেষ্ট হোটেল ইন দ্য মিডল ইষ্ট' ক্যাটাগরিতে খুব সম্মানজনক দুটি পুরস্কার পেয়েছে। নির্মাণ করতে ব্যয় হয়েছে ৬৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। প্রশ্ন "বুর্জ আল-আরব হোটেলটির মালিক কে ?"
শেখ নাহিয়ানের
Bengali
ben
re-annotations
50e6c1c0b3b80bf3489010ce91c9799fd9ba2052bf2a3be39592fb970cf39916
প্রত্নতত্ত্ববিদ্যা, কীটতত্ত্ব, জিনপ্রযুক্তি, ফার্মেসি ইত্যাদি বিষয়ে জানা জরুরী কেন বিশ্লেষণ করো।
প্রত্নতত্ত্ববিদ্যা, কীটতত্ত্ব, জিনপ্রযুক্তি, ফার্মেসি বিষয়গুলো ফলিত জীববিজ্ঞানের অন্তর্ভুক্ত। জীবন সংশ্লিষ্ট প্রায়োগিক বিষয়সমূহ এ শাখার আলোচ্য বিষয় হওয়ায় এগুলো জানা জরুরী। এ শাখায় আলোচিত প্রত্নতত্ত্ববিদ্যা সম্পর্কে জানা থাকলে আমরা প্রাগৈতিহাসিক জীবের বিবরণ এবং জীবাশ্ম সম্পর্কে বিস্তারিত জ্ঞান লাভ করতে পারব। এখানে পরজীবীবিদ্যা, মৎস্যবিজ্ঞান, কীটতত্ত্ব, অণুজীববিজ্ঞান, কৃষিবিজ্ঞানে একটি সুনির্দিষ্ট বিষয় সম্পর্কে এবং কোনো বিশেষ দলের জীব নিয়ে আলোচনা ও গবেষণা করা হয়েছে যা আমরা বাস্তব জীবনে কাজে লাগাতে পারব। সামুদ্রিক জীব সম্পর্কে জানতে সমুদ্র জীববিজ্ঞানের বিস্তারিত ধারণা পাওয়া যাবে। আবার কিছু বিষয়ে ঔষধশিল্প, প্রযুক্তি বিষয়ক কম্পিউটার প্রযুক্তি নির্ভর জীববিজ্ঞান ভিত্তিক তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়েছে। যেগুলো আমরা আমাদের বাস্তব জীবনে কাজে লাগাতে পারব। তাই প্রত্নতত্ত্ববিদ্যা, কীটতত্ত্ব, জিনপ্রযুক্তি, ফার্মেসি ইত্যাদি বিষয়ে জানা জরুরী।
Bengali
ben
original-annotations
98f0ae710378a0b5fe50df07cffcbde326a4d98f4f490c424be43b7f68f78f2d
মানুষের রক্তে পিএইচ-এর মান কত?
মানুষের রক্তে পিএইচ-এর মান ৭.৩৫ থেকে ৭.৪৫ এর মধ্যে থাকে। পিএইচ হলো একটি পরিমাপ যা কোনও তরলের কতটা ক্ষারীয় বা কতটা অম্লীয় তা নির্ধারণ করে। ৭ হলো নিরপেক্ষ পিএইচ, ৭-এর কম মানে অম্লীয় এবং ৭-এর বেশি মানে ক্ষারীয়। মানুষের রক্তের পিএইচ ক্ষারীয় হয় কারণ এটিতে বাইকার্বোনেট আয়ন থাকে, যা ক্ষারীয়। বাইকার্বোনেট আয়ন রক্তে অম্লতা ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। মানুষের রক্তে পিএইচ-এর মান পরিবর্তিত হতে পারে, তবে এটি সাধারণত একটি ছোট পরিসরে থাকে। পিএইচ-এর মান যদি খুব বেশি বা খুব কম হয়ে যায় তবে এটি গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার কারণ হতে পারে। পিএইচ-এর মান পরিবর্তনের কিছু কারণ হলো: ১. খাদ্য: কিছু খাবার, যেমন মাংস, মাছ এবং ডিম, রক্তের পিএইচ-এর মান কমিয়ে দিতে পারে। অন্যদিকে, কিছু খাবার, যেমন ফল, শাকসবজি এবং দুগ্ধজাত পণ্য, রক্তের পিএইচ-এর মান বাড়িয়ে দিতে পারে। ২. রোগ: কিছু রোগ, যেমন কিডনি রোগ এবং ডায়াবেটিস, রক্তের পিএইচ-এর মান পরিবর্তন করতে পারে। ৩. ওষুধ: কিছু ওষুধ, যেমন অ্যান্টিবায়োটিক এবং অ্যান্টিকনভালসেন্ট, রক্তের পিএইচ-এর মান পরিবর্তন করতে পারে।
Bengali
ben
re-annotations
98f0ae710378a0b5fe50df07cffcbde326a4d98f4f490c424be43b7f68f78f2d
নিম্নলিখিত অনুচ্ছেদের জন্য একটি শিরোনাম প্রস্তাব করুন : ঈদের পর কওমী মাদ্রাসাগুলো ভর্তি কার্যক্রম শুরু করার জন্য এসব মাদ্রাসার বোর্ডগুলোর পক্ষ থেকে সরকারের কাছে মাদ্রাসা খুলে দেয়ার আবেদন করা হয়েছে। তারা ইতিমধ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং ধর্মপ্রতিমন্ত্রীর কাছে লিখিত দাবি জানিয়েছেন। মাদ্রাসা বোর্ডের নেতারা বলেছেন, মাদ্রাসাগুলো বন্ধ থাকায় লক্ষ লক্ষ দরিদ্র শিক্ষার্থী এখন অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে। সরকারের ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণের মধ্যে শিশুদের ঝুঁকি বিবেচনা করে অন্যান্য শিক্ষপ্রতিষ্ঠানের মতো মাদ্রাসাগুলোও বন্ধ রেখেছে। এখন মাদ্রাসা খুলে দেয়ার দাবি নিয়ে তারা আরও আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবেন। আরও পড়ুন: দেশে কওমী এবং প্রাথমিক স্তরের নূরানী মাদ্রাসাগুলো পরিচালনার জন্য বেসরকারিভাবে কয়েকটি শিক্ষা বোর্ড রয়েছে। এসব বোর্ডের পক্ষে একটি প্রতিনিধি দল গত রোববার রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর সাথে দেখা করে মাদ্রাসা খুলে দেয়ার লিখিত আবেদন করেছেন। সেই আলোচনায় দুই মন্ত্রী মাদ্রাসা বোর্ডের নেতাদের বক্তব্য শুনেছেন। তবে মন্ত্রীরা সুনির্দিষ্টভাবে কিছু বলেননি বলে জানা গেছে। তারা আরও আলোচনা করার কথা বলেছেন। কওমি মাদ্রাসায় বহু শিক্ষার্থীকে বিনামূল্যে থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয় চট্টগ্রামের মিরেরসরাই এলাকার একটি মাদ্রাসার শিক্ষক আশরাফ আলী নিজামপুরী বলেছেন, তার মাদ্রাসায় দেড়শ'র বেশি শিক্ষার্থীর বেশিরভাগই প্রত্যন্ত গ্রামের দরিদ্র পরিবারের। দীর্ঘ সময় মাদ্রাসা বন্ধ থাকলে শিক্ষাশিক্ষার্থীরা চরম সংকটে পড়বে বলে তিনি উল্লেখ করেন। "আমাদের কওমী মাদ্রাসাগুলোতে হাজার হাজার এতিম, মিস্কিন, গরিব আছে, তাদের লালন পালন এবং ভারণ পোষণ দেয়া হয়। তাদের অভিভাবকের দায়িত্ব আমরা পালন করি। এবং রমজান মানুষ বেশি দান করে ও অর্থের যোগান হয়। আমরা যদি লম্বা সময় মাদ্রাসা বন্ধ রাখি তাহলে এই ছেলে মেয়েগুলো কোথায় যাবে? সেজন্য মাদ্রাসা খোলা দাবি জানিয়েছি," বলেন আশরাফ আলী নিজামপুরী। চট্টগ্রামেরই হাটহাজারি এলাকার মীরেরহাটের একটি মহিলা মাদ্রাসার শিক্ষক উম্মে সুফা সাহেদা বলেছেন, তাদের মাদ্রাসায় এতিমখানা এবং প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তর মিলিয়ে আড়াই হাজারের মতো নারী শিক্ষার্থী রয়েছে। এতিমখানা ছাড়া অন্য বিভাগগুলো বন্ধ রয়েছে। তিনি উল্লেখ করেছেন, মাদ্রাসা না খুললে অনেক শিক্ষার্থী ঝড়ে যেতে পারে।
কওমী মাদ্রাসা খোলার দাবির পেছনে যেসব যুক্তি, কী করবে সরকার |
Bengali
ben
re-annotations
50e6c1c0b3b80bf3489010ce91c9799fd9ba2052bf2a3be39592fb970cf39916
এই লেখাটি কোন গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা সম্পর্কে ? ১৯৮৪ সালে কনমেবল দশ সদস্য কনফেডারেশনের মধ্যে কোপা আমেরিকা আয়োজনের অধিকারকে চক্রাকার করার নীতি গ্রহণ করেছিল। প্রথম চক্রটি ২০০৭ কোপা আমেরিকা পর্যন্ত অনুসরণ করে সম্পন্ন হয়েছিল, যা ভেনেজুয়েলায় অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ২০১১ সালে দ্বিতীয় চক্র শুরু হয়, আয়োজক দেশগুলো আর্জেন্টিনা থেকে শুরু করে বর্ণানুক্রমিক ক্রমে আবর্তিত হবে। চিলি, মেক্সিকো এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পরবর্তী আসরের আয়োজনের ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছিল, কিন্তু কনমেবল নির্বাহী কমিটি এই চক্রাকার সম্পাদন অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, যার ফলে কনমেবলের প্রতিটি সদস্য অ্যাসোসিয়েশনকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়; প্রতিটি অ্যাসোসিয়েশন নিশ্চিত করবে যে তারা তাদের জন্য উপলব্ধ আসরটি আয়োজন করবে কি না, এটি করার কোন বাধ্যবাধকতা নেই। আর্জেন্টিনা ২০০৮ সালের ২৪শে নভেম্বর আর্জেন্টিনীয় ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিদের মাধ্যমে নিশ্চিত করেছিল যে তারা ২০১১ কোপা আমেরিকা আয়োজন করবে।
২০১১ কোপা আমেরিকা |
Bengali
ben
re-annotations
50e6c1c0b3b80bf3489010ce91c9799fd9ba2052bf2a3be39592fb970cf39916
অনুগ্রহ করে নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ুন এবং প্রশ্নের উত্তর দিন | প্রশ্ন : বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান কোন রাজনৈতিক দলের সদস্য ছিলেন ? অনুচ্ছেদ : জিয়াউর রহমান: ১৯৭৮ সালের ১লা সেপ্টেম্বর জেনারেল জিয়াউর রহমান বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমানে বেগম খালেদা জিয়া এই দলের চেয়ারপারসন (Chairperson)। রাষ্ট্রপতি জিয়া এই দলের সমন্বয়ক ছিলেন এবং এই দলের প্রথম চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। অধ্যাপক এ. কিউ. এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী এর প্রথম মহাসচিব ছিলেন। জিয়ার এই দলে বাম, ডান ও মধ্যপন্থীসহ সকল স্তরের লোক ছিলেন। বিএনপির সব থেকে প্রধান বৈশিষ্ট্য ছিল এর নিয়োগ পদ্ধতি। প্রায় ৪৫% সদস্য শুধুমাত্র রাজনীতিতে নতুন ছিলেন তাই নয়, তারা ছিলেন তরুণ। ১৯৭৮ সালের ১লা সেপ্টেম্বর বিকাল ৫টায় রমনা রেস্তোরাঁয় রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এক সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিক ঘোষণাপত্র পাঠের মাধ্যমে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের যাত্রা শুরু করেন। জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে তিনি ঘোষণাপত্র পাঠ ছাড়াও প্রায় দুই ঘণ্টা সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। সংবাদ সম্মেলনে নতুন দলের আহবায়ক কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে তিনি প্রথমে ১৮ জন সদস্যদের নাম এবং ১৯শে সেপ্টেম্বর ওই ১৮ জনসহ ৭৬ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করেন। এখানে উল্লেখ্য যে, বিএনপি গঠন করার আগে ১৯৭৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক দল (জাগদল) নামে আরেকটি দল উপ-রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আব্দুস সাত্তারকে সভাপতি করে গঠিত হয়েছিল। ২৮শে আগস্ট ১৯৭৮ সালে নতুন দল গঠন করার লক্ষ্যে জাগদলের বর্ধিত সভায় ওই দলটি বিলুপ্ত ঘোষণার মাধ্যমে দলের এবং এর অঙ্গ সংগঠনের সকল সদস্য জিয়াউর রহমান ঘোষিত নতুন দলে যোগদানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তিনি রাষ্ট্রপতি থাকা অবস্থায় ১৯৭৯ সালে দ্বিতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ২৯৮টি আসনের মধ্যে ২০৭টিতে জয়লাভ করে। নির্বাচনে অংশ নিয়ে আব্দুল মালেক উকিল এর নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ ৩৯টি ও মিজানুর রহমান চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ ২টি আসনে জয়লাভ করে। এছাড়া জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল ৮টি, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি ১টি ও মুসলিম ডেমোক্রেটিক লীগ ২০টি আসনে জয়লাভ করে।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল |
Bengali
ben
re-annotations
50e6c1c0b3b80bf3489010ce91c9799fd9ba2052bf2a3be39592fb970cf39916
নিন্মলিখিত পাঠ্যের সারাংশ লেখ: জীবন বৃক্ষের শাখায় যে ফুল ফোটে তাই মনুষ্যত্ব। বৃক্ষের গোড়ায় জল ঢালতে হবে এই ফুলের দিকে লক্ষ রেখে। শুধু শুধু মাটির রস টেনে গাছটা মোটা হয়ে উঠবে, এই ভেবে কোনো মালী গাছের গোড়ায় জল ঢালে না। সমাজব্যবস্থাকেও ঠিক করতে হবে মানুষকে খাইয়ে-দাইয়ে মোটা করে তুলবার জন্য নয়, মানুষের অন্তরে মূল্যবোধ তথা সৌন্দর্য, প্রেম ও আনন্দ সম্বন্ধে চেতনা জাগিয়ে তুলবার উদ্দেশ্যে। যখন এই চেতনা মানুষের চিত্তে জাগে তখন এক আধ্যাত্মিক সুষমায় তার জীবন পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে এবং তারই প্রতিফলনে সমস্ত জগৎ আলোময় হয়ে দেখা দেয়। ফলে মানুষ ইতর জীবনের গুরুভার থেকে মুক্তি পেয়ে নিজেকে লঘুপক্ষ প্রজাপতির মতো হালকা মনে করে।
মানব জীবনের প্রকৃত লক্ষ্য হলো মনুষ্যত্ববোধ অর্জন। সৌন্দর্য, প্রেম, আনন্দ প্রভৃতির সমন্বয়ে যে মানবিক মূল্যবোধ গড়ে ওঠে তার জাগরণই সমাজব্যবস্থার লক্ষ্য হওয়া উচিত। এই মূল্যবোধ যার মধ্যে জাগ্রত হয় তার জীবন অপরিসীম সৌন্দর্যে ভরে ওঠে। তার হৃদয়ের আলোয় সমস্ত পৃথিবী আলোকিত হয়।
Bengali
ben
original-annotations
98f0ae710378a0b5fe50df07cffcbde326a4d98f4f490c424be43b7f68f78f2d
এই লেখাটি কোন গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা সম্পর্কে? মেক্সিকো এপর্যন্ত ১৬ বার ফিফা বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করেছে, যার মধ্যে সেরা সাফল্য হচ্ছে ১৯৭০ এবং ১৯৮৬ ফিফা বিশ্বকাপের কোয়ার্টার-ফাইনালে পৌঁছানো। অন্যদিকে কনকাকাফ গোল্ড কাপে মেক্সিকো অন্যতম সফল দল, যেখানে তারা ১১টি (১৯৬৫, ১৯৭১, ১৯৭৭, ১৯৯৩, ১৯৯৬, ১৯৯৮, ২০০৩, ২০০৯, ২০১১, ২০১৫ এবং ২০১৯) শিরোপা জয়লাভ করেছে। এছাড়াও, মেক্সিকো ১৯৯৯ ফিফা কনফেডারেশন্স কাপের শিরোপা জয়লাভ করেছে।
ফিফা বিশ্বকাপে ও কনকাকাফ গোল্ড কাপে মেক্সিকোর সাফল্য ও ব্যর্থতার সংক্ষিপ্ত বিবরণ।
Bengali
ben
re-annotations
5f3397f86a04bd591aaa77ca39eb85f0ac496637fe5770a290252b66359205ad
বিবিনবাপ কি ব্যাখ্যা কর
বিবিনবাপ একটি ঐতিহ্যবাহী দক্ষিণ কোরিয়ান খাবার। এতে রয়েছে চাল, মসুর ডাল, সামুদ্রিক শৈবাল, সবজির তরকারি এবং ডিম।
Bengali
ben
original-annotations
50e6c1c0b3b80bf3489010ce91c9799fd9ba2052bf2a3be39592fb970cf39916
মোট অভ্যন্তরীণ প্রতিফলন কি?
এটি এমন একটি ঘটনা যেখানে আলোক রশ্মি আরও ঘন থেকে কম ঘন মাঝারিতে যাওয়ার চেষ্টা করে এবং একই মাধ্যমে প্রতিফলিত হয়। এটি অপটিক্যাল ফাইবারগুলিতে ঘটে যা যোগাযোগের জন্য তারের মাধ্যমে আলোকে দীর্ঘ দূরত্বে ভ্রমণ করতে দেয়
Bengali
ben
original-annotations
50e6c1c0b3b80bf3489010ce91c9799fd9ba2052bf2a3be39592fb970cf39916
মৃতদেহ থেকে করোনাভাইরাস ছড়ানোর কোন আশঙ্কা নেই বলছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ফলে মৃতদেহ থেকে এই ভাইরাস ছড়ানোর কোন আশঙ্কা নেই বলে জানাচ্ছেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক ডা. নাসিমা সুলতানা। বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বিষয়ক তথ্য নিয়ে নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, "মৃতদেহ দাফন বা সৎকার করতে তিন চার ঘণ্টা সময় লেগেই যায়। তিন ঘণ্টা পরে আর মৃতদেহে এই ভাইরাসের কার্যকারিতা থাকে না।" আর এ কারণেই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কেউ মারা গেলে তাকে স্বাস্থ্য নির্দেশনা মেনে নিজ ধর্ম মেনে সৎকার কিংবা পারিবারিক কবরস্থানেই তাকে দাফন করা যাবে বলে জানানো হয়। বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলে তার দাফন ও সৎকার নিয়ে নানা ধরণের স্টিগমা এবং ভয় প্রচলিত আছে। আর এ কারণে, মারা যাওয়ার দীর্ঘ সময় পরও মৃতদেহ সরানো বা দাফন না হওয়ার নানা ঘটনাও সামনে আসে। এর আগে নারায়ণগঞ্জে এক ব্যবসায়ীর মৃতদেহ নিজের বাড়ির সিঁড়িতে পরে থাকলেও তা সরাতে পরিবারের কেউ এগিয়ে আসেনি। ওই এলাকার একজন জনপ্রতিনিধি বিবিসি বাংলাকে বলেছিলেন, নিজে মুসলিম হলেও স্বজনেরা এগিয়ে না আসায় ক... উপরের নিবন্ধটির পরের অংশ লিখতে থাকো।
রোনাভাইরাসে মৃত মানুষটির দাফনের কাজে তিনি এগিয়ে এসেছেন। এমন অবস্থার প্রেক্ষিতেই আজ এ মৃতদেহের দাফন ও সৎকার নিয়ে এ তথ্য এলো। ডা. নাসিমা সুলতানা বলেন, নিজ নিজ ধর্মীয় বিধি মেনেই মৃতদেহ দাফন এবং সৎকার করা যায়। তিনি বলেন, নিয়ম অনুযায়ী মৃতদেহের সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে বডি ব্যাগ বা সেটা না পাওয়া গেলে পলিথিনে মুড়ে স্থানান্তর করা যায়। মৃতদেহ দাফন বা শেষকৃত্যের জন্য নির্ধারিত কবরস্থান বা পারিবারিকভাবে নির্ধারিত স্থানে দাফন ও শেষকৃত্য করা যায়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উদ্ধৃতি দিয়ে ডা. নাসিমা সুলতানা বলেন, সংস্থাটি বলেছে যে, এখনো পর্যন্ত এটা প্রমাণিত হয়নি যে, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত ব্যক্তির দেহ থেকে সুস্থ কোন ব্যক্তির মধ্যে করোনাভাইরাস ছড়ায়।
Bengali
ben
re-annotations
6e778d7e8aa512883c877966afe48e4a51d98ebb8e51e7b6143f45d86d9afd8c
নিচের অনুচ্ছেদের বিষয় কি ? ১৯৭১-এ স্বাধীনতা সংগ্রামের মধ্য দিয়ে স্বাধীন এবং সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা হয়। হুমায়ুন আজাদ স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন যে বাস্তবায়িত হয়নি তা নিজস্ব মতামতে তুলে ধরেছেন, তিনি ধর্মনিরপেক্ষ বাংলাদেশ দেখতে চেয়েছিলেন সেটা বাস্তবায়িত হচ্ছেনা এবং সমাজের মানুষগুলো দূরে সরে এসেছে নৈতিকতা থেকে, সমাজে মৌলবাদ এসেছে, পূর্ব পাকিস্তানের আমলে ষাটের দশকে যখন তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন তখন বাঙালি সমাজ অনেক প্রগতিবাদী ছিলো - এসব বিভিন্ন কথা তিনি বুঝিয়েছেন।
স্বাধীনতা সংগ্রাম |
Bengali
ben
re-annotations
50e6c1c0b3b80bf3489010ce91c9799fd9ba2052bf2a3be39592fb970cf39916
তিনি একজন গণিতবিদ ছিলেন যার ধারণা তার সময়ের চেয়ে অনেক এগিয়ে ছিল। তিনি এনিগমা মেশিনের এনক্রিপ্ট করা কোডের পাঠোদ্ধার করতে সক্ষম হন। বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মান বাহিনীর প্রতিরোধকে শক্তিশালী করতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। সেই গণিতবিদের নাম কী?
প্রশ্নে গণিতবিদ অ্যালান টুরিং-এর কথা বলা হয়েছে। অ্যালান টুরিং একজন অগ্রণী ইংরেজ কম্পিউটার প্রকৌশলী, গণিতজ্ঞ, যুক্তিবিদ, দার্শনিক, গোপন সংকেত বিশেষজ্ঞ, গাণিতিক জীববিজ্ঞানী এবং ম্যারাথন দৌড়বিদ ছিলেন। কম্পিউটার প্রকৌশলের বিকাশে তিনি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। তিনি তার টুরিং মেশিনের মাধ্যমে গণনা ও অ্যালগোরিদমের ধারণার প্রচলন করেন। টুরিংকে তাত্ত্বিক কম্পিউটার প্রকৌশল ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার জনক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তিনি এনিগমা মেশিনের এনক্রিপ্ট করা কোডের পাঠোদ্ধার করতে সক্ষম হন। বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মান বাহিনীর প্রতিরোধকে শক্তিশালী করতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।
Bengali
ben
re-annotations
98f0ae710378a0b5fe50df07cffcbde326a4d98f4f490c424be43b7f68f78f2d
এশিয়া মহাদেশের ভূ-প্রকৃতির বর্ণনা দাও।
এশিয়া মহাদেশের ভূ-প্রকৃতি খুবই বৈচিত্র্যপূর্ণ। এর উত্তরে বরফে আচ্ছাদিত এলাকা সাইবেরিয়া যেমন আছে, তেমনি পশ্চিমে আছে উত্তপ্ত মরুভূমি। পৃথিবীর দশটি বড় নদীর মধ্যে সাতটিই এশিয়াতে প্রবাহিত। সেই সাথে পৃথিবীর উচ্চতম পর্বতশৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্ট (৮,৮৫০ মিটার) এবং সর্বনিম্ন বিন্দু 'ডেড সি' বা মৃত সাগর এশিয়ায় অবস্থিত। এখানে পামির ও আর্মেনিয়া নামক দুটি পর্বত গ্রন্থি রয়েছে। অধিক উচ্চতার জন্য পামিরকে 'পৃথিবীর ছাদ' বলা হয় ৷ তিয়েনশান, আলতাই, ইয়ারোনয়, স্থানোভয়, কুনলুন, কারাকোরাম, হিমালয়, হিন্দুকুশ, সুলাইমান, ক্ষীরথর, এলবুর্জ, জাগ্রোস, পন্টিক, টোরাস এশিয়ার প্রধান পর্বত শ্রেণী। সাইবেরিয়া, টাইগ্রীস, সিন্ধু, গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র, হোয়াংহো-ইয়াংশি-সিকিং অববাহিকা এশিয়ার প্রধান সমভূমি অঞ্চল।
Bengali
ben
original-annotations
98f0ae710378a0b5fe50df07cffcbde326a4d98f4f490c424be43b7f68f78f2d
নিম্নলিখিত প্রশ্নের উত্তর দিতে একটি নিবন্ধ লিখুন | কত সালে সর্বপ্রথম বেতার দূরবীক্ষণ যন্ত্র আবিষ্কার হয় ?
দূরবীক্ষণ যন্ত্র তথা দুরবিন (টেলিস্কোপ) এমন একটি যন্ত্র যা দূরবর্তী লক্ষ্যবস্তু দর্শনের জন্য ব্যবহার করা হয়। এটি দূরবর্তী বস্তু থেকে নির্গত বিকিরণ সংগ্রহ, পরিমাপ এবং বিশ্লেষণ করার কাজে ব্যবহৃত হয়। সাধারণ দূরবীক্ষণ যন্ত্র তৈরি করা হয় লেন্স এবং দর্পণের সাহায্যে। এ ধরণের দুরবিনের সাহায্যে দূরের বস্তু আরো উজ্জ্বলভাবে বা অস্পষ্ট বস্তু আরো স্পষ্ট করে দেখা যায়। আবার বৈজ্ঞানিক গবেষণার কাজে ব্যবহৃত দূরবীক্ষণ যন্ত্র বলতে এমন কৌশল বুঝায় যার সাহায্যে সীমিত দিক থেকে আগত তড়িচ্চৌম্বক বিকিরণ বা কণা-বিকিরণ হিসেবে আগত বিকিরণ সংগ্রহ করা যায়। ইতিহাস প্রথম দূরবীক্ষণ যন্ত্রটি তৈরি করেছিলেন হ্যান্স লিপারশে, ১৬০৮ সালে। ১৬০৯ সালে দূরবর্তী তারা পর্যবেক্ষণের জন্য গ্যালিলিও গ্যালিলি একটি দুরবিন তৈরি করেন। তিনি এই যন্ত্র তৈরির ধারণা লাভ করেছিলেন এক চশমা নির্মাতার কাছ থেকে। ঐ চশমা নির্মাতা একদিন লক্ষ্য করেছিলেন, তার দোকানে বসানো স্থির লেন্স পদ্ধতির মধ্য দিয়ে দেখলে দূরের বাতাসের দিক নির্ধারক যন্ত্রটি বিবর্ধিত দেখা যায়। গ্যালিলি তার দুরবিনের মাধ্যমে বৃহস্পতির উপগ্রহ এবং শনির বলয় পর্যবেক্ষণ করেছিলেন। ১৬১১ সালে ইয়োহানেস কেপলার একটি দূরবীক্ষণ যন্ত্র নির্মাণ করেন যা অনেকটা জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক দূরবীক্ষণ যন্ত্রের মত ছিল।[1][2][3] তখন পর্যন্ত প্রতিসরণ দূরবীক্ষণ যন্ত্রের যুগ চলছিল। ১৭৩৩ সালে জেমস গ্রেগরি একটি অ্যাক্রোমেটিক ডাবলেট অবজেক্টিভ তৈরি করেন যার মাধ্যমে প্রতিসরণ দুরবিনের প্রভূত উন্নতি সাধিত হয়। প্রতিফলন দূরবীক্ষণ যন্ত্র উদ্ভাবন করেন জেমস গ্রেগরি। আইজাক নিউটন-ও একটি প্রতিফলন দুরবিন তৈরি করেছিলেন। বর্ণীল অপেরণমুক্ত সাধারণ লেন্স নির্মাণ বেশ কষ্টসাধ্য হওয়ায় নিউটন এ ধরণের দুরবিন তৈরীতে উৎসাহিত হয়েছিলেন। তার মতে প্রতিসরণ দূরবীক্ষণ যন্ত্রে যেখানে অবজেক্টিভের স্থানে লেন্স ব্যবহার করা সেখানেই দর্পণ ব্যবহার করা সম্ভব কারণ দর্পণে ঠিক একইভাবে সকল বর্ণের আলো প্রতিফলিত হয়। বড় আকারের দূরবীক্ষণের অবজেক্টিভের স্থানে ব্যবহৃত দর্পণগুলো পরাবৃত্তীয় আকারের হয়ে থাকে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পালমার মানমন্দিরে স্থাপিত প্রতিফলন দূরবীক্ষণ যন্ত্রের অবজেক্টিভে ব্যবহৃত দর্পণের ব্যাস হল ৫০০ সেন্টিমিটার।[4] প্রকারভেদ একনলা দূরবীন মহাকাশ দেখার জন্য বেশি ব্যবহার হয়। বাইনকুলার বা দোনলা দূরবীন ভূমিতে ব্যবহার্য দুচোখে লাগাবার দুনলা ছোটো টেলিস্কোপ...
Bengali
ben
re-annotations
50e6c1c0b3b80bf3489010ce91c9799fd9ba2052bf2a3be39592fb970cf39916
ব্যাখ্যা করো: পুষ্প আপনার জন্য ফোটে না।
শুধু নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকার জন্য মানুষ পৃথিবীতে আসেনি। সমাজের অন্যদের কল্যাণ করার মাধ্পযমেই পরম সার্থকতা ও মঙ্গল নিহিত। আত্মস্বার্থ চিন্তা কখনোই মানুষকে মহৎ করে তোলে না। পুষ্প বা ফুল সৌন্দর্য ও পবিত্রতার প্রতীক। তাই ফুলকে সবাই ভালােবাসে। নিজের সৌন্দর্য ও সুবাস কখনই সে নিজের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখে না, বরং তা অন্যের মাঝে বিলিয়ে দিয়ে পরিতৃপ্তি লাভ করে। এটি ফুলের ধর্ম। প্রাকৃতিক নিয়মে ফুল থেকে ফল হয়। ফল থেকে বীজ হয়। বীজ থেকে গাছ হয়। গাছ থেকে আবার ফল হয়। এজন্য আমরা পুষ্পকে বীজের উত্তরসূরি হিসেবে চিহ্নিত করি। তবে ফুল শুধু বীজের উত্তরসূরি নয়, মধুর সুরভিতে সে সকলকে মুগ্ধ করে। প্রস্ফুটিত ফুল তার সৌন্দর্য দ্বারা মানুষকে আনন্দ দান করে। এমনকি যে ব্যক্তি স্বেচ্ছায় ফুলের সুবাস গ্রহণ করে না, বাতাসের মাধ্যমে ফুল তার সুবাস সেই ব্যক্তির নাকে পৌছে দেয়। এতে তার জীবনের অবসান ঘটলেও তার প্রস্ফুটিত হওয়া সার্থকতা লাভ করে। মানব জীবনকেও ফুলের সাথে তুলনা করা যেতে পারে। ফুলের আদর্শ গ্রহণ করে মানুষও যদি তার সর্বস্ব অপরের কল্যাণে উৎসর্গ করতে পারে, তাহলে তার জীবন সার্থক ও সুন্দর হয়। প্রকৃতপক্ষে সাধু ও মহৎ ব্যক্তিরা নানারকম বাধাবিপত্তি এবং বিপদাপদের মাঝেও মানবকল্যাণে নিজেকে নিয়ােজিত রাখেন। কোনাে প্রতিকূল পরিবেশই তাদেরকে মানবকল্যাণ সাধন থেকে বিরত রাখতে পারে না। ফুলের সুবাসের মতাে তাদের মহৎ গুণাবলিও সাধারণ মানুষকে পরম আনন্দ ও তৃপ্তি দান করে থাকে। হযরত মুহাম্মদ (সা.), হযরত আবু বকর (রা.), হাজী মুহম্মদ মুহসীন, দানবীর কার্নেগী, রণদা প্রসাদ সাহা প্রমুখ মহামানবের জীবনী পর্যালােচনা করে আমরা এই পরম সত্যটি উপলব্ধি করতে পারি। সুতরাং আমাদের প্রত্যেকেরই উচিত বিশ্ব-মানবতার কল্যাণে নিজেকে ফুলের মতাে বিলিয়ে দেওয়া। এ বিলিয়ে দেওয়ার মাঝেই নিহিত রয়েছে মনুষ্য জীবনের পরম পাওয়া এবং চরম সার্থকতা। যে ব্যক্তি আত্মকেন্দ্রিক এবং নিজের স্বার্থের জন্য যেকোনো অপকর্ম করতে দ্বিধাবোধ করে না সে দেশ ও জাতির জন্য অভিশাপস্বরূপ। ফুলের সার্থকতা যেমন আত্মত্যাগে, ব্যক্তিজীবনের সার্থকতাও তেমনই অপরের সামগ্রিক কল্যাণ ও শুভ কামনায়। যেদিন আমরা ফুলকে আদর্শ ভেবে পরের কল্যাণে জীবনকে বিলিয়ে দিতে পারবো সেদিনই আমাদের সমাজজীবনে দুঃখ, যন্ত্রণা, বৈষম্যের অবসান ঘটবে। মানুষের জীবন হয়ে উঠবে আনন্দঘন ও কল্যাণময়।
Bengali
ben
original-annotations
98f0ae710378a0b5fe50df07cffcbde326a4d98f4f490c424be43b7f68f78f2d
কোন প্রাণীর রক্ত ​​নেই
স্টারফিশের কোন রক্ত ​​নেই। পরিবর্তে এটি তার শরীরের মধ্য দিয়ে সমুদ্রের জল পাম্প করে
Bengali
ben
original-annotations
50e6c1c0b3b80bf3489010ce91c9799fd9ba2052bf2a3be39592fb970cf39916
জীববিজ্ঞান শিক্ষক মি. হাসান তাঁর ছাত্রদের নিয়ে বিদ্যালয়ের চারপাশে গাছগুলো পর্যবেক্ষণ করলেন। পরবর্তীতে তিনি নানা রকম গাছ দেখিয়ে একটি বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করলেন যার জনক বিজ্ঞানী ক্যারোলাস লিনিয়াস। অবশেষে তিনি উক্ত বিজ্ঞানীর প্রবর্তিত নামকরণ পদ্ধতির নিয়মাবলি আলোচনা করলেন। শিক্ষকের আলোচিত মূল বিষয়বস্তুর উদ্দেশ্য বর্ণনা করো।
শিক্ষকের আলোচিত মূল বিষয়বস্তুটি হলো জীবের শ্রেণিবিন্যাস। শ্রেণিবিন্যাসের উদ্দেশ্য হলো প্রতিটি জীবের দল ও উপদল সম্বন্ধে জ্ঞান আহরণ করা। জীবজগতের ভিন্নতার প্রতি আলোকপাত করে আহরিত জ্ঞানকে সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা, পূর্ণাঙ্গ জ্ঞানকে সংক্ষিপ্তভাবে উপস্থাপন করা এবং প্রতিটি জীবকে শনাক্ত করে তার নামকরণের ব্যবস্থা করা। সর্বোপরি, জীবজগৎ ও মানব কল্যাণে প্রয়োজনীয় জীবসমূহকে শনাক্ত করে তাদের সংরক্ষণ অথবা প্রজাতিগত সংখ্যা বৃদ্ধির ব্যবস্থা নেওয়া।
Bengali
ben
original-annotations
98f0ae710378a0b5fe50df07cffcbde326a4d98f4f490c424be43b7f68f78f2d
নিন্মলিখিত পাঠ্যের সারাংশ বলো: কলম্বাস যখন আমেরিকা আবিষ্কার করিতে কৃতসংকল্প হন, তখন লোকে তাহাকে বাতুল বলে নাই কি? নারী আপন স্বত্ব-স্বামিত্ব বুঝিয়া আপনাকে নরের ন্যায় শ্রেষ্ঠ জ্ঞান করিতে চাহে, ইহাও বাতুলতা বৈ আর কি? পুরুষগণ স্ত্রীজাতির প্রতি যতটুকু সম্মান প্রদর্শন করেন, তাহাতে আমরা সম্পূর্ণ তৃপ্ত হইতে পারি না। লোকে কালী, শীতলা প্রভৃতি রাক্ষস প্রকৃতির দেবীকে ভয় করে। পূজা করে সত্য। কিন্তু সেইরূপ বাঘিনী, নাগিনী, সিংহী প্রভৃতি দেবীও কি ভয় ও পূজা লাভ করে না? তবেই দেখা যায় পূজাটা কে পাইতেছেন রমনী কালী, না রাক্ষসী নৃমুন্ড মালিনী।
প্রদত্ত পাঠ্যের সারাংশ নিন্মরূপ: সমাজ ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আনতে হলে, প্রচলিত প্রথা ভাঙতে হলে, শত বাঁধা-বিঘ অতিক্রম করতে হয়। আমাদের পুরুষতান্ত্রিক সমাজে এই বাঁধা-বিপত্তি জয় করে নারীকে তার অধিকার আদায় করে নিতে হবে।
Bengali
ben
original-annotations
98f0ae710378a0b5fe50df07cffcbde326a4d98f4f490c424be43b7f68f78f2d
নিচের বাক্যটি কি সম্পর্কে? উত্তাল সমুদ্র ঢেউ তীরে আছড়ে পড়তে থাকে, যা দেখে মনে হয় ঝড় আসছে
বাক্যটি ঝড় এবং সমুদ্র সংক্রান্তে।
Bengali
ben
re-annotations
6e778d7e8aa512883c877966afe48e4a51d98ebb8e51e7b6143f45d86d9afd8c
নিম্নলিখিত বিষয়ে একটি নিবন্ধ লিখুন | চিনি বা শর্করা খাওয়াকে এখন ধূমপানের মতোই ক্ষতিকর জিনিস হিসেবে দেখতে হবে
চিনি বা সুগারকে এখন ধূমপানের মতোই ক্ষতিকর জিনিস হিসেবে দেখতে হবে, বলছেন গবেষকরা গত কয়েক দশকে ধূমপান নিরুৎসাহিত করতে এত কিছু করা হয়েছে যে সিগারেট খাওয়াটা অন্তত উন্নত বিশ্বে একটা প্রান্তিক এবং 'খারাপ' অভ্যাস হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। এখন পশ্চিমা দেশে সিগারেটের প্যাকেট হয় সাদা, তাতে ধূমপানজনিত নানা রোগের বীভৎস ছবি থাকে - যা দেখে হয়তো অনেকেই সিগারেট খাবার ইচ্ছে চলে যাবে। অনেকেই মনে করছেন, চিনি, শর্করা বা সুগারকে নিয়েও হয়তো এরকমই একটা কিছু করতে হবে। সুগার-ভর্তি পানীয় বা কোমল পানীয়ের ওপর এখনই প্রচুর কর আরোপ করা হয়েছে। এখন ব্রিটেনের ইনস্টিটিউট অব পাবলিক পলিসি রিসার্চ নামে একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান বলছেন, এসব পানীয়, এবং মিষ্টি ও স্ন্যাকস-কেও সাদা মোড়কে বাজারজাত করা উচিত - যাতে একে কম আকর্ষণীয় দেখায়। অতিরিক্ত মিষ্টিজাতীয় জিনিস খাও কমাতেই এটা করা দরকার - এক রিপোর্টে বলছেন তারা। ব্রিটেনের জাতীয় ডায়েট এ্যান্ড নিউটিশন সার্ভে নামের এক জরিপে দেখা গেছে, একজন টিনএজারের (মোট ক্যালরির অংশ হিসেবে) যতটুকু সুগার খাওয়া উচিৎ - প্রকৃতপক্ষে সে তার তিনগুণ বেশি খাচ্ছে। আইপিপিআরের পরিচালক টম কিবাসি বলছেন, প্লেইন প্যাকেজিং অর্থাৎ মিষ্টিজাতীয় জিনিসকে অনাকর্ষণীয় সাদা প্যাকেটে বিক্রি করা শুরু করলে অতিরিক্ত সুগার খাওয়া নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে এক বড় পরিবর্তন ঘটতে পারে। ব্রিটেনে এখন সিগারেটের প্যাকেটে ধূমপানজনিত রোগের ছবি থাকে এর সাথে জাংক ফুড বা চটজলদি খাবারের বিজ্ঞাপন প্রচারে নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথাও বলেছেন তিনি। ব্রিটেনে সরকারের মন্ত্রীরাও বিষয়টি নিয়ে ভাবছেন বলে খবর বেরিয়েছে। কিন্তু অনেকে প্রশ্ন করছেন যে ব্যাপারটা বাড়াবাড়ি হয়ে যাবে কিনা। চিনি-মেশানো খাবার উৎপাদন-বাজারজাতকরণের সাথে যুক্ত বড় প্রতিষ্ঠানগুলো ইতিমধ্যেই এ নিয়ে আপত্তি তুলেছে। তারা বলছে এটা বাণিজ্যিক ও প্রতিযোগিতার স্বাথীনতার বিরোধী। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: আড়ং বন্ধের পর বদলি নাটক, সামাজিক মাধ্যম সরগরম কী ধরণের পুরুষ পছন্দ বাংলাদেশের মেয়েদের? মাঝরাতে রান্নাঘরের মেঝেতে কুমির দেখলেন যে নারী দুর্নীতির বিরুদ্ধে যেভাবে লড়াই করছে কেনিয়া ভেপিং বা ই সিগারেট ধূমপান কমাতে সহায়ক হয়েছে বলে মনে করেন অনেকে কিন্তু তামাক শিল্পও এক সময় এই একই যুক্তি তুলে ধরেছিল, কিন্তু তা সরকারের কঠোর ধূমপানবিরোধী অবস্থানকে দমাতে পারে নি।
Bengali
ben
re-annotations
50e6c1c0b3b80bf3489010ce91c9799fd9ba2052bf2a3be39592fb970cf39916
মি. জামান ১০ম শ্রেণির 'বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়' বিষয়ের একজন শিক্ষক। তিনি আজ শ্রেণিতে একটি নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করেন। ঐ নির্বাচনে চারটি দল যুক্ত হয়ে একটি জোট গঠন করে। অতঃপর, = তিনি অপর একটি সাধারণ নির্বাচনের কথা বলেন যা “এক ব্যক্তির এক ভোটের ভিত্তিতে” অনুষ্ঠিত হয়। এতে একটি দল জাতীয় পরিষদে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। উদ্দীপকের শেষাংশে আলোচিত নির্বাচনের হাত ধরে আজকের স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ— মতামত দাও।
উদ্দীপকের শেষাংশে আলোচিত নির্বাচনটি হলো পাকিস্তানের ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচন। স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের পেছনে এই নির্বাচনের গুরুত্ব অপরিসীম। ১৯৭০ সালের ডিসেম্বর মাসে জাতীয় এবং প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় । নির্বাচনে পূর্ব পাকিস্তানে আওয়ামী লীগ নজিরবিহীন বিজয় লাভ করে। এটি ছিল বাঙালি জাতীয়তাবাদ ও বঙ্গবন্ধুর স্বায়ত্তশাসনের দাবির রাজনৈতিক বিজয়। উদ্দীপকে দেখা যায়, শিক্ষক মি. জামান উদ্দীপকের শেষাংশে “এক ব্যক্তির একভোটের ভিত্তিতে” অনুষ্ঠিত নির্বাচনের কথা বলেন। তীব্র গণ আন্দোলনের ফলে ১৯৬৯ সালের ২৫শে মার্চ আইয়ুব খানের পদত্যাগের পর ১৯৭০ সালের ৭ই ডিসেম্বর পাকিস্তানে সর্বপ্রথম এক ব্যক্তির এক ভোটের ভিত্তিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। আওয়ামী লীগ এই নির্বাচনকে ৬ দফার পক্ষে গণভোট হিসেবে অভিহিত করে। এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ পাকিস্তানি সরকারকে বিচলিত করে তোলে। তারা বাঙালির হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর না করার জন্য ষড়যন্ত্র করতে থাকে। কিন্তু পূর্ব পাকিস্তানের জনগণ পশ্চিম পাকিস্তানি ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করতে রাজপথে নামে। জবাবে পাকিস্তানিরা শুরু করে গণহত্যা। এর প্রতিক্রিয়াতেই বঙ্গবন্ধুর ডাকে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে পূর্ব পাকিস্তানের বাঙালিরা। উপরের আলোচনা থেকে বলা যায়, ১৯৭০ সালের নির্বাচনে পাকিস্তানি শাসনশোষণে অতিষ্ঠ মুক্তিকামী বাঙালি স্বায়ত্তশাসনের পক্ষে রায় দেয়। আর এর ধারাবাহিকতায়ই মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ জন্মলাভ করে।
Bengali
ben
original-annotations
98f0ae710378a0b5fe50df07cffcbde326a4d98f4f490c424be43b7f68f78f2d
"দুঃখের মতাে এত বড়াে পরশপাথর আর নেই" কথাটি কেন বলা হয়?
মানুষের জীবনে সুখ ও দুঃখ নামক দুটি জিনিসের অস্তিত্ব বিদ্যমান রয়েছে। সুখ-দুঃখ পর্যায়ক্রমে আসে। তাই জীবনে দুঃখ এলে ভেঙে পড়লে চলবে না। আর সুখ এলেও তা নিয়ে অতি গর্ব করারও কিছু নেই। আগুনে পােড়ালে যেমন খাঁটি সােনার পরিচয় স্পষ্ট হয়, তেমনই দুঃখের দহন মানুষকে খাটি মানুষে পরিণত করে। আঘাতে আঘাতে, বেদনায় বেদনায় মানুষের মনুষ্যত্ববােধ, সত্যনিষ্ঠা ও বিবেকবােধ জাগ্রত হয়। দুঃখে না পড়লে কোনাে মানুষই জীবনের যথার্থ স্বরূপ উপলব্ধি করতে পারে না। মনীষীগণ তাই দুঃখকে পরশপাথরের সাথে তুলনা করেছেন। পরশপাথরের ছোঁয়ায় যেমন লােহা সােনায় পরিণত হয়, তেমনই দুঃখের আঘাত অমানুষকে মহৎ মানুষে পরিণত করতে পারে। বেদনার অশ্রুতে যখন ভেসে যায় সমস্ত গ্লানি, তখন অপার্থিব এক পবিত্ৰবােধ জন্ম নেয় হৃদয়ে। সেই পবিত্ৰবােধই তাকে সুন্দর করে, নতুন এক মানুষে পরিণত করে। পৃথিবীর ইতিহাসে মনীষীদের জীবনীতে আমরা দেখি যে, তারা দুঃখময় জীবন কাটিয়েই সুখের সন্ধান পেয়েছেন। দুঃখকে সাদরে গ্রহণ করে নেওয়ার ফলেই তারা সুখের দেখা পেয়েছেন। দুঃখকে কখনাে তারা অবজ্ঞা করেননি।
Bengali
ben
original-annotations
98f0ae710378a0b5fe50df07cffcbde326a4d98f4f490c424be43b7f68f78f2d
সংক্ষেপে বলো যে মানুষের মুখে ব্রন কীভাবে হয়?
মানুষের ত্বকের নিচের ছোট ছোট আয়েল গ্রান্ড থেকে ত্বকগ্রন্থির ছিদ্রপথে সামান্য পরিমাণে তেল বের হওয়ায় ত্বক নরম থাকে। কিন্তু বাতাসের ধুলাবালি বা কোষের বর্জনীয় পদার্থ কখনো কখনো এই ছিদ্রপথ বন্ধ করে দিলে রক্তের শ্বেত কণিকা পুঁজে পরিণত হয়ে এখানে ব্রনের সৃষ্টি করে।
Bengali
ben
original-annotations
98f0ae710378a0b5fe50df07cffcbde326a4d98f4f490c424be43b7f68f78f2d
অধিবর্ষ বলতে কী বোঝায়?
অধিবর্ষ বলতে ৩৬৬ দিনে এক বছর হওয়াকে বোঝায়। সূর্যকে একবার পরিক্রমণ করতে পৃথিবীর যে সময় লাগে তাকে সৌরবছর বলা হয়। সাধারণত ৩৬৫ দিনে সৌরবছর গণনা করা হয়। কিন্তু সূর্যকে একবার পরিক্রমণ করতে পৃথিবীর আসলে ঠিক ৩৬৫ দিন ৫ ঘণ্টা ৪৮ মিনিট ৪৭ সেকেন্ড সময় লাগে। তাই প্রতি চার বছরে একদিন বাড়িয়ে ইংরেজি চতুর্থ বছর ৩৬৬ দিনে গণনা করা হয়। সে বছর ফেব্রুয়ারি মাস ২৮ দিনের পরিবর্তে ২৯ দিনে ধরা হয়। এরূপ বছরকে অধিবর্ষ বলা হয়।
Bengali
ben
original-annotations
98f0ae710378a0b5fe50df07cffcbde326a4d98f4f490c424be43b7f68f78f2d
আইয়ামে জাহেলিয়া বলতে কী বোঝায়?
সাধারণভাবে আইয়ামে জাহেলিয়া বলতে মহানবি (স.)-এর ইসলাম প্রচার শুরুর আগের যুগকে বোঝায়। আইয়াম আরবি শব্দ। এর অর্থ যুগ, সময়, কাল প্রভৃতি। আর জাহেলিয়া অর্থ অজ্ঞতা, তমসা, বর্বরতা বা কুসংস্কার। সুতরাং আইয়ামে জাহেলিয়া অর্থ অজ্ঞতার যুগ বা তমসার যুগ। আইয়ামে জাহেলিয়া বলতে সেই যুগকে বোঝায় যে সময় আরবে কোনো প্রকার কৃষ্টি, ধর্মগ্রন্থ বা সূক্ষ্ম কোনো ধর্মীয় অনুভূতি বা চেতনা ছিল না। এ সম্পর্কে ঐতিহাসিক পি. কে. হিট্টি বলেন, সাধারণত জাহেলিয়া শব্দটি দিয়ে অজ্ঞতা বা বর্বরতার যুগকে বোঝায়, কিন্তু বাস্তবে এ শব্দটি এমন একটি সময়কে বোঝায় যখন আরবে কোনো বিধিবিধান ছিল না, কোনো অনুপ্রাণিত ধর্মপ্রচারক ছিল না, ছিল না প্রত্যাদেশ হিসেবে আসা কোনো ধর্মগ্রন্থ। ঐতিহাসিক জে ওয়েলহাউসেন জাহেলিয়া যুগের আরবদের সম্পর্কে বলেন, "আরবদের ধর্ম ও রাজনৈতিক জীবন আদিম অবস্থায় ছিল। সুস্থ, সুন্দর ও সুশৃঙ্খল জীবন সম্পর্কে তারা একেবারেই অজ্ঞ ছিল। তাদের সমাজ ও ধর্মীয় অবস্থা অধঃপতনের সর্বনিম্ন পর্যায়ে এসে পৌঁছেছিল।" মূলত খ্রিষ্টীয় সপ্তম শতকে ইসলামের আবির্ভাবের আগে যখন আরব উপদ্বীপে আইন-কানুন, নীতি-নৈতিকতা, শিক্ষা-সংস্কৃতি, জ্ঞান-বুদ্ধিবৃত্তি, মানবতাবোধ, অর্থনৈতিক স্বাধীনতাসহ আর্থ-সামাজিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় ক্ষেত্রে বিশৃঙ্খলা ও নৈরাজ্য বিরাজ করত সেই সময়কে আইয়ামে জাহেলিয়া বলা হয়। তবে হিট্টির মতে, আইয়ামে জাহেলিয়ার এ সংজ্ঞা সমগ্র আরব উপদ্বীপের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হতে পারে না। কেননা ঐ সময় দক্ষিণ আরব একটি শিক্ষিত ও সংস্কৃতিমান সমাজের প্রতিনিধিত্ব করেছিল। এ সংজ্ঞা শুধু হেজাজ, নজদ ও নুফুদ এলাকার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। আরব উপদ্বীপের দক্ষিণাঞ্চলের বাস্তবতা বিবেচনায় নিয়ে পি. কে. হিট্টির প্রদত্ত মতামত গ্রহণ করাই অধিকতর ইতিহাসসম্মত। পবিত্র কুরআনে কয়েকবার আইয়ামে জাহেলিয়া সম্পর্কে উল্লেখ আছে। কিন্তু গোটা আরব উপদ্বীপে এর বিস্তৃতি ছিল কি না, সেখানে তা জানা যায় না।
Bengali
ben
original-annotations
98f0ae710378a0b5fe50df07cffcbde326a4d98f4f490c424be43b7f68f78f2d
রোম্মান পূর্ণিমার সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে বেড়াতে গেল। সে দেখল যে, সমুদ্রের পানির প্রবাহ দ্রুত ফুলে উঠছে এবং অমাবস্যার সময়ও একই ঘটনা ঘটল। অষ্টমী তিথিতে এ দৃশ্যের পরিবর্তন ঘটতে লাগল। সে বুঝতে পারল সমুদ্রের পানির— এভাবে ফুলে উঠা ও নেমে যাওয়ার কিছু নির্দিষ্ট কারণ রয়েছে। পূর্ণিমা ও অষ্টমী তিথির ঘটনা দুটির তুলনামূলক আলোচনা কর।
পূর্ণিমা তিথিতে তেজ কটাল বা ভরা কটাল এবং অষ্টমী তিথিতে মরা কটাল সংঘটিত হয়। পূর্ণিমা তিথিতে পৃথিবীর এক পাশে চাঁদ ও অপর পাশে সূর্য অবস্থান করে। এ সময় চন্দ্র ও সূর্য সমসূত্রে থাকে এবং উভয়ের মিলিত আকর্ষণে সমুদ্রে প্রবল জোয়ারের সৃষ্টি হয়। এই প্রবল জোয়ারকে তেজকটাল বা ভরা কটাল বলে। উদ্দীপকের রোম্মান কক্সবাজারে পূর্ণিমার সময় এই ঘটনাটি দেখেছে। আবার, অষ্টমী তিথিতে চন্দ্র ও সূর্য পৃথিবীর সমকোণে অবস্থান করে। ফলে চন্দ্রের আকর্ষণে এ সময় চাঁদের দিকে জোয়ার হয়। কিন্তু সূর্যের আকর্ষণের জন্য এ জোয়ারের বেগ তত প্রবল হয় না। এরূপ জোয়ারকে মরা কটাল বলে। উদ্দীপকের রোম্মান অষ্টমী তিথিতে এ ঘটনাটি প্রত্যক্ষ করেছে। এক মাসে দুবার ভরা কটাল এবং দুবার মরা কটাল হয়। উপরের আলোচনা থেকে বলা যায়, পূর্ণিমা তিথিতে চন্দ্র ও সূর্য পৃথিবীর সমসূত্রে থাকায় ভরা কটাল এবং অষ্টমী তিথিতে চন্দ্র ও সূর্য পৃথিবীর সমকোণে থাকায় মরা কটাল সংঘটিত হয়।
Bengali
ben
original-annotations
98f0ae710378a0b5fe50df07cffcbde326a4d98f4f490c424be43b7f68f78f2d
নিম্নলিখিত জন্য একটি ধারাবাহিকতা লিখুন : অ্যানালগ কম্পিউটার হলো এমন কম্পিউটার
যা কোনো কম্পিউটিং সমস্যাকে ভৌত বৈশিষ্ট্য যেমন ইলেকট্রিক, যান্ত্রিক, বা হাইড্রলিক-এর ভৌত এবং চলমান (continuous variable) পরিমাপে মডেল হিসেবে রূপ দেয়া হয়। অপরদিকে, ডিজিটাল কম্পিউটার-এ সমস্যাটিকে ধাপবিশিষ্ট সংখ্যামানে মডেল করা হয়।
Bengali
ben
re-annotations
50e6c1c0b3b80bf3489010ce91c9799fd9ba2052bf2a3be39592fb970cf39916
এই লেখাটি কোন গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা সম্পর্কে ? আরবের বাইরে, আফ্রিকাই প্রথম মহাদেশ ছিল, যেখানে ইসলাম ৭ম শতাব্দীর গোড়ার দিকে ছড়িয়ে পড়ে। বিশ্বের মুসলিম জনসংখ্যার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ এই মহাদেশে বাস করে। মুসলমানরা বর্তমান জিবুতি, সোমালিয়া ও ইরিত্রিয়া অতিক্রম করে "হিজরতের সময়" ইথিওপিয়ায় আশ্রয়ের খোঁজে। আফ্রিকার অধিকাংশ মুসলমান সুন্নি; আফ্রিকায় ইসলামের জটিলতা চিন্তার বিভিন্ন ধারা, ঐতিহ্য, এবং অনেক আফ্রিকান দেশের মত দ্বারা উন্মোচিত হয়। আফ্রিকান ইসলাম স্থবির নয় এবং ক্রমাগত প্রচলিত, সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অবস্থার দ্বারা রূপায়িত হচ্ছে। সাধারণত আফ্রিকায় ইসলাম প্রায়ই আফ্রিকার সাংস্কৃতিক প্রেক্ষিতে অভিযোজিত হয়।
হিজরতের সময় |
Bengali
ben
re-annotations
50e6c1c0b3b80bf3489010ce91c9799fd9ba2052bf2a3be39592fb970cf39916
শবে মেরাজে কী হয়েছিল তা বর্ণনা করো।
ইবনে কাসির তাঁর তাফসিরে মেরাজ সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা করে বলেন, সত্য কথা হলো, নবী (স.) ইসরা সফর জাগ্রত অবস্থায় করেন, স্বপ্নে নয়। মক্কা থেকে বায়তুল মুকাদ্দাস পর্যন্ত এ সফর বোরাক নামক বিশেষ প্রাণিযোগে করেন। বায়তুল মুকাদ্দাসের দ্বারে উপনীত হয়ে তিনি বোরাকটি অদূরে বেঁধে নেন এবং বায়তুল মুকাদ্দাসের মসজিদে প্রবেশ করে কেবলামুখী হয়ে দুই রাকাত নামায আদায় করেন। এরপর সিঁড়ির সাহায্যে প্রথম আকাশ, তারপর অন্যান্য আকাশে যান । ঐ সিঁড়িটির স্বরূপ সম্পর্কে আল্লাহই ভালো জানেন । যাহোক, প্রতিটি আকাশে সেখানকার ফেরেশতারা তাঁকে অভ্যর্থনা জানান এবং যষ্ঠ আকাশে হজরত মুসা (আ.) ও সপ্তম আকাশে হজরত ইব্রাহিম (আ.)-এর সাথে তার সাক্ষাৎ হয়। তিনি সিদরাতুল মুনতাহা দেখেন, যেখানে আল্লাহর নির্দেশে স্বর্ণের প্রজাপতি ও নানা রঙের প্রজাপতি ছোটাছুটি করছিল। ফেরেশতারা স্থানটিকে ঘিরে রেখেছিল। সেখানেই তিনি একটি দিগন্তবেষ্টিত সবুজ রঙের পালকির ন্যায় রফরফ ও বায়তুল মামুরও দেখেন ৷ বায়তুল মামুরের কাছেই কাবার প্রতিষ্ঠাতা হযরত ইবরাহিম (আ.) প্রাচীরের সাথে হেলান দিয়ে বসা ছিলেন। এ বায়তুল মামুরে দৈনিক ৭০ হাজার ফেরেশতা প্রবেশ করেন। রাসূলুল্লাহ (স.) স্বচক্ষে জান্নাত ও দোজখ দেখেন। সে সময় তাঁর উম্মতের জন্য প্রথমে ৫০ ওয়াক্তের নামায ফরজ হওয়ার নির্দেশ হয়। এরপর তা কমিয়ে পাঁচ ওয়াক্ত করে দেয়া হয়। এরপর তিনি বায়তুল মুকাদ্দাসে ফিরে আসেন এবং বিভিন্ন আকাশে যেসব পয়গাম্বরের সাথে সাক্ষাৎ হয়েছিল তাঁরাও তার সাথে বায়তুল মুকাদ্দাসে নামেন। তারা এখান থেকেই বিদায় নেন এবং রাসূল (স.) বোরাকে সওয়ার হয়ে অন্ধকার থাকতেই মক্কায় পৌঁছে যান।
Bengali
ben
original-annotations
98f0ae710378a0b5fe50df07cffcbde326a4d98f4f490c424be43b7f68f78f2d
আগরতলা মামলা কেন দায়ের করা হয়? ব্যাখ্যা কর।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশের স্বাধীনতার লক্ষ্যে একটি বিপ্লবী পরিকল্পনার প্রেক্ষিতে পাকিস্তান সরকার ঐতিহাসিক আগরতলা মামলা দায়ের করে। বঙ্গবন্ধুর চূড়ান্ত লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা। তাই তিনি একটি গোপন বিপ্লবী পরিকল্পনায় সম্মতি দিয়েছিলেন। ঐ বিপ্লবী পরিকল্পনায় ঠিক করা হয় বাঙালিরা পূর্ব পাকিস্তানের ক্যান্টনমেন্টগুলোতে অতর্কিত হামলা করে পাকিস্তানি সেনাদের অস্ত্র কেড়ে নিয়ে বন্দি করবে। এরপর বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে স্বাধীনতা ঘোষণা করা হবে। পরিকল্পনাটি ফাঁস হয়ে গেলে পাকিস্তান সরকার ঐতিহাসিক আগরতলা মামলা (রাষ্ট্র বনাম শেখ মুজিবুর রহমান এবং অন্যান্য) দায়ের করে।
Bengali
ben
original-annotations
98f0ae710378a0b5fe50df07cffcbde326a4d98f4f490c424be43b7f68f78f2d
মৌলিক সংখ্যা কাকে বলে?
মৌলিক সংখ্যা হলো এমন স্বাভাবিক সংখ্যা যা ১-এর চেয়ে বড় এবং যাকে ১ এবং সেই সংখ্যা ছাড়া অন্য কোনো স্বাভাবিক সংখ্যা দ্বারা নিঃশেষে ভাগ করা যায় না। অন্যভাবে বললে, মৌলিক সংখ্যা হল এমন স্বাভাবিক সংখ্যা যার কেবলমাত্র দুটো পৃথক উৎপাদক আছে: ১ এবং ঐ সংখ্যাটি নিজেউদাহরণস্বরূপ: ১ থেকে ১০ পর্যন্ত মোট ৪টি মৌলিক সংখ্যা রয়েছে। সেগুলো হলো ২, ৩, ৫ ও ৭।
Bengali
ben
re-annotations
5f3397f86a04bd591aaa77ca39eb85f0ac496637fe5770a290252b66359205ad
নিচের প্রশ্নটির উত্তর দিন। কেদারনাথ মন্দিরটি কি উত্তরাখন্ডে অবস্থিত?
হ্যাঁ, কেদারনাথ মন্দির ভারতের উত্তরাখন্ডে অবস্থিত।
Bengali
ben
re-annotations
98f0ae710378a0b5fe50df07cffcbde326a4d98f4f490c424be43b7f68f78f2d
প্রশ্নঃ কে বলেছে অস্ত্রের নল থেকে শক্তি আসে উত্তরঃ
মাও জেডং
Bengali
ben
re-annotations
50e6c1c0b3b80bf3489010ce91c9799fd9ba2052bf2a3be39592fb970cf39916
নিচের বাক্যটি পড় এবং প্রশ্নের উত্তর দাও। কমলালেবু, লাল আপেল, হলুদ কলা এবং সবুজ তরমুজ রোদে শুয়ে ফলের বাজারটি বেশ সুন্দর লাগছিল। প্রশ্ন: ফলের বাজারে কোন ফল বিক্রি হচ্ছে?
ফলের বাজারে বিক্রি হচ্ছে কমলা, আপেল, কলা ও তরমুজ।
Bengali
ben
re-annotations
98f0ae710378a0b5fe50df07cffcbde326a4d98f4f490c424be43b7f68f78f2d
নিন্মলিখিত পাঠ্যের সারাংশ লেখ: জীবনের একটি প্রধান লক্ষণ হাসি ও আনন্দ। যার প্রত্যেক কাজে আনন্দ-স্ফুর্তি তার চেয়ে সুখী আর কেউ নয়। জীবনে যে পুরোপুরি আনন্দ ভোগ করতে জানে, আমি তাকে বরণ করি। স্থূল দৈনন্দিন কাজের ভেতর সে এমন একটা কিছুর সন্ধান পেয়েছে যা তার নিজের জীবনকে সুন্দর শোভন করেছে এবং পারিপার্শ্বিক দশ জনের জীবনকে উপভোগ্য করে তুলেছে। এই যে এমন একটা জীবনের সন্ধান যার ফলে সংসারকে মরুভূমি বোধ না হয়ে ফুলবাগান বলে মনে হয়, সে সন্ধান সকলের মেলে না। যার মেলে সে পরম ভাগ্যবান। এরূপ লোকের সংখ্যা যেখানে বেশি সেখান থেকে কলুষ বর্বরতা আপনি দূরে পালায়। সেখানে প্রেম, পবিত্রতা সর্বদা বিরাজ করে।
হাসি-আনন্দ মানবজীবনের এমন একটি সম্পদ যার মাধ্যমে জীবন সুন্দর হয়ে ওঠে। এই হাসি ও আনন্দকে যে তার জীবনের সর্বক্ষেত্রে খুঁজে পেয়েছে তার মাধ্যমে কেবল তার নিজের জীবনই সুন্দর হয়নি চারপাশের মানুষের জীবনও হয়ে উঠেছে উপভোগ্য। এই সুখী মানুষের স্পর্শেই সমাজের কালিমা দূর হয়, সমাজ হয়ে ওঠে পবিত্র ও প্রেমময়।
Bengali
ben
original-annotations
98f0ae710378a0b5fe50df07cffcbde326a4d98f4f490c424be43b7f68f78f2d
উদ্ভিদ প্রজননে সংরায়ন বিষয়টি ব্যাখ্যা করো।
কোনো ভালো বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন গাছের পরাগরেণু একই প্রজাতির ভিন্ন বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন গাছের গর্ভমুণ্ডে পরাগায়ন ঘটিয়ে উন্নত জাত উদ্ভাবনের প্রক্রিয়াকে বলা হয় সংকরায়ন। অন্যভাবে বলা যায়, সংকরায়ন হলো এমন প্রজনন পদ্ধতি যেখানে এক বা একাধিক জিনগত বৈশিষ্ট্যে ভিন্ন দুই বা ততোধিক উদ্ভিদের মধ্যে ক্রস করিয়ে নতুন উন্নত ভ্যারাইটি (জাত) উদ্ভাবন করা হয়। একটি নাতিদীর্ঘ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এটি করা হয়। ধানের ইরি বা বিরি-র বিভিন্ন উন্নত ফলনশীল প্রকরণ এভাবেই সৃষ্টি করা হয়েছে।
Bengali
ben
original-annotations
98f0ae710378a0b5fe50df07cffcbde326a4d98f4f490c424be43b7f68f78f2d
নিচের লেখাটির সারাংশ লেখ: গ্রিসের প্রসিদ্ধ দার্শনিক পন্ডিত আরস্তুল বলিয়াছেন যে, মানব স্বভাবত আসঙ্গলিপ্সু। মানবসৃষ্টির উপাদানগুলির মধ্যে প্রেম একটি উপাদান ছিল, ইহা সুনিশ্চিত। খোদাতাআলা মানবকে তাহার আকৃতির অনুরূপ সৃষ্টি করিয়া তাহার দেহের মধ্যে আত্মা প্রবেশ করাইয়া দিয়া মানবকে অনুগৃহীত করিয়াছেন। কারণবশত মানব যখন অবিনশ্বর জগৎ হইতে নশ্বর জগতে পদার্পণ করে, তখন সে-ই খোদাতাআলার প্রতিনিধিত্ব-প্রাপ্ত হয়। এই পৃথিবী খোদাতাআলার আশ্চর্যজনক সৃষ্টি-কৌশলে পরিপূর্ণ। যদিও মানবাত্মা চতুর্ভুজরূপে প্রাচীরের মধ্যে আবদ্ধ হইল, তথাপি তাহার গমনাগমনের দ্বার উন্মুক্ত রহিয়াছে; তাহার উন্নতিমার্গে আরোহণার্থ একদিকে সোপানশ্রেণী সংলগ্ন রহিয়াছে। যদি সে উদ্যমসহকারে চেষ্টা করে, তাহা হইলে খোদাতাআলার অনুগ্রহে উক্ত সোপানশ্রেণী অতিক্রমপূর্বক উন্নতিমার্গে আরোহণ করিতে সক্ষম হয়। আবার অন্যদিকে তাহার জন্যে অবনতির দ্বার অবরুদ্ধ রহিয়াছে; যদি তাহার কু-প্রবৃত্তি প্রবল হয়, তাহা হইলে অজ্ঞানতারূপ লৌহনির্মিত হস্ত উক্ত দ্বার উন্মুক্ত করিয়া দেয়, তখন সেই অপরিণামদর্শী মানবাত্মা অবনতির গভীরতম গর্ভে নিপতিত হয়। একদিকে বিবেক ঐশ্বরিক জ্ঞান শিক্ষা দিয়া আত্মাকে জ্যোতির্ময় করিয়া তুলিতেছে, অন্যদিকে কু-প্রবৃত্তি অসৎ পথে চালিত করিয়া তাহাকে ধ্বংস করিতেছে।
খোদা মানুষকে সৃষ্টি করে তার মধ্যে আত্মাকে প্রবিষ্ট করে নিজের প্রতিনিধিরূপে এ পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন। মানুষের মধ্যে কুপ্রবৃত্তি, সুপ্রবৃত্তি দুটোই আছে। সুপ্রবৃত্তি তাকে উন্নতির পথে ধাবিত করে আর কুপ্রবৃত্তি তাকে অবনতির অতল গভীরে নিক্ষেপ করে। তাই তাকে সব সময় সুপ্রবৃত্তির পথেই চলতে হবে।
Bengali
ben
original-annotations
98f0ae710378a0b5fe50df07cffcbde326a4d98f4f490c424be43b7f68f78f2d
সব বাঘের কি ঠিক একই প্যাটার্নের ডোরা আছে?
না, প্রতিটি বাঘের স্ট্রাইপের একটি অনন্য প্যাটার্ন রয়েছে, এটি স্বতন্ত্র এবং একটি আঙ্গুলের ছাপের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ
Bengali
ben
original-annotations
50e6c1c0b3b80bf3489010ce91c9799fd9ba2052bf2a3be39592fb970cf39916
এই লেখাটি কোন গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা সম্পর্কে ? ধুন্দ আব্বাসি হযরত মুহাম্মদ ( সঃ) এর চাচা আব্বাস ( রাঃ) এর চাচা থেকে আগত একটি উপজাতি। শেরবাজ খান ব্রিটিশ ওপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে ১৮৫৭ সালের জুলাই মাসে ৩০০ জন লোককে নিয়ে ব্রিটিশ উপনিবেশের বিরুদ্ধে ব্রিটিশ বন্দোবস্ত আক্রমণ করার পরিকল্পনা করেছিলেন - কিন্তু তার পরিকল্পনাটি ব্রিটিশদের কাছে ফাঁস হয়ে যায় এবং তার পরিকল্পনা ব্যর্থ হয় এবং তিনি ব্রিটিশদের হাতে ধরা পড়েন। পরে তাকে বিচার করা হয়েছিল, সাজা দেওয়া হয়েছিল এবং তাকে তোপের সামনে রেখে গুলি করা হয়েছিল।
ব্রিটিশ উপনিবেশের বিরুদ্ধে আক্রমণ পরিকল্পনা |
Bengali
ben
re-annotations
50e6c1c0b3b80bf3489010ce91c9799fd9ba2052bf2a3be39592fb970cf39916
নিম্নলিখিত বাক্যাংশটি সম্পূর্ণ করুন | স্টেডিয়ামের স্থানটি মুক্তিযুদ্ধের বিভীষিকাময় স্মৃতি বিজড়িত রয়েছে।
২৫ মার্চ, ১৯৭১ হতে ঢাকাসহ সারাদেশে পাকিস্তান সেনাবাহিনী গণহত্যা শুরু করে। তবে ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত গাইবান্ধা শহর মুক্ত ছিল। ১৭ এপ্রিল দুপুরের পর পাকিস্তান সেনাবাহিনী গাইবান্ধা শহরে প্রবেশ করে শহর ও আশপাশের এলাকাজুড়ে হত্যা, লুটতরাজ, অগ্নিসংযোগ করেছিল। পাকিস্তান সেনাবাহিনী গাইবান্ধা স্টেডিয়ামের মাঠে তাদের মূল ঘাঁটি স্থাপনের করেছিল। ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত পাকিস্তান সেনাবাহিনী স্টেডিয়ামের দক্ষিণ প্রান্তে কফিল শাহের প্রাচীর ঘেরা গুদামঘরকে নিরীহ বাংলদেশীদের নির্যাতন কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করে। গুদামঘরের স্থানটি "হেলাল পার্ক বধ্যভূমি" অথবা "কাফিল শাহের গুদাম বধ্যভূমি" নামে পরিচিত।
Bengali
ben
re-annotations
50e6c1c0b3b80bf3489010ce91c9799fd9ba2052bf2a3be39592fb970cf39916
নিম্নলিখিত অনুচ্ছেদ সম্পূর্ণ করুন বাংলাদেশের বর্তমান সীমান্ত তৈরি হয়েছিল ১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দে যখন ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনাবসানে, বঙ্গ (বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি) এবং ব্রিটিশ ভারত বিভাগ করা হয়েছিল। বিভাগের পরে বর্তমান বাংলাদেশের অঞ্চল তখন পূর্ব বাংলা নামে পরিচিত, যেটি নবগঠিত দেশ পাকিস্তানের পূর্ব অঞ্চল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছিল। পাকিস্তান অধিরাজ্যে থাকারকালীন "পূর্ব বাংলা" থেকে "পূর্ব পাকিস্তান"-এ নামটি পরিবর্তিত করা হয়েছিল। শোষণ, বৈষম্য ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে
সশস্ত্র সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দে বাংলাদেশ একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়।
Bengali
ben
re-annotations
50e6c1c0b3b80bf3489010ce91c9799fd9ba2052bf2a3be39592fb970cf39916
রাতুলদের গ্রামে আগে অনেক পুকুর, জলাশয় ছিল। জনসংখ্যা বৃদ্ধিসহ আরো নানা কারণে বর্তমানে তাদের গ্রামের অনেক পুকুর, জলাশয় ভরাট হয়ে গেছে। এই ঘটনার ফলে রাতুলদের গ্রামে কী প্রভাব পড়বে? ব্যাখ্যা করো।
উদ্দীপকে উল্লিখিত ঘটনার ফলে অর্থাৎ পুকুর, জলাশয় ভরাটের কারণে রাতুলদের গ্রামে পানি সংকট সৃষ্টি হবে এবং সংকটের কারণে নানা ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। বাংলাদেশের নদ-নদী, জলাশয়, পুকুর শুকিয়ে যাওয়ার কারণে বা ভরাট হয়ে যাওয়ার কারণে কৃষি, মৎস্য চাষ, যাতায়াত বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। ফলে জলাভূমির উপর নির্ভরশীল জনগোষ্ঠীকে জীবন ও জীবিকার সন্ধানে তল্পিতল্পাসহ অন্যত্র চলে যেতে হচ্ছে। নদ-নদী, পুকুর বা জলাশয়ে উৎপাদিত মাছ আমিষের চাহিদা পূরণ করত। কিন্তু শুকিয়ে যাওয়া অথবা ভরাটের কারণে আমিষের চাহিদা পূরণ কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে। উদ্দীপকে দেখা যায়, রাতুলদের গ্রামে পূর্বে অনেক পুকুর, জলাশয় থাকলেও বর্তমানে বিভিন্ন কারণে ভরাট হয়ে গেছে। এর ফলে এসব পুকুর বা জলাশয়কে কেন্দ্র করে মাছ চাষ বা কৃষিতে সেচ প্রদান বন্ধ হয়ে যাবে। ফলে জীবিকার উপর ব্যাপক প্রভাব পরিলক্ষিত হবে। খাবার পানি ও অন্যান্য কাজে ব্যবহার্য পানির সংকট পড়তে পারে। এসব পুকুর বা জলাশয়ের তীরকে কেন্দ্র করে যে সকল গাছপালা, বাগানবাড়ি, সবুজ বৃক্ষের সমারোহ গড়ে উঠেছে পানির অভাবে তা নষ্ট হবে । তাতে মানুষ, মাছ, পশু-পাখি ও গাছ-তরুলতার অস্তিত্ব বিপন্ন হতে পারে। তাই বলা যায়, উদ্দীপকে উল্লিখিত ঘটনার ফলে রাতুলদের গ্রামে পানির অপ্রতুলতার নানা ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
Bengali
ben
original-annotations
98f0ae710378a0b5fe50df07cffcbde326a4d98f4f490c424be43b7f68f78f2d
সমচাপ প্রক্রিয়া, সমোষ্ণ প্রক্রিয়া, রুদ্ধতাপীয় প্রক্রিয়া, প্রত্যাবর্তী প্রক্রিয়া ও অপ্রত্যাবর্তী প্রক্রিয়ার সংজ্ঞা দাও।
সমচাপ প্রক্রিয়া, সমোষ্ণ প্রক্রিয়া, রুদ্ধতাপীয় প্রক্রিয়া, প্রত্যাবর্তী প্রক্রিয়া ও অপ্রত্যাবর্তী প্রক্রিয়ার সংজ্ঞা নিন্মরূপ: সমচাপ প্রক্রিয়া: যে তাপগতীয় প্রক্রিয়ায় সিস্টেমের চাপের কোনো পরিবর্তন হয় না তাকে সমচাপ প্রক্রিয়া বলে। সমোষ্ণ প্রক্রিয়া: যে তাপগতীয় প্রক্রিয়ায় সিস্টেমের তাপমাত্রা স্থির থাকে তাকে সমোষ্ণ প্রক্রিয়া বলে। রুদ্ধতাপীয় প্রক্রিয়া: যে তাপগতীয় প্রক্রিয়ায় সিস্টেম থেকে তাপ বাইরে যায় না বা বাইরে থেকে তাপ সিস্টেমে আসে না তাকে রুদ্ধতাপীয় প্রক্রিয়া বলে। প্রত্যাবর্তী প্রক্রিয়া: যে প্রক্রিয়া বিপরীতমুখী হয়ে প্রত্যাবর্তন করে এবং সম্মুখবর্তী ও বিপরীতমুখী প্রক্রিয়ার প্রতি স্তরে তাপ ও কাজের ফলাফল সমান ও বিপরীত হয় সেই প্রক্রিয়াকে প্রত্যাবর্তী প্রক্রিয়া বলে। অপ্রত্যাবর্তী প্রক্রিয়া: যে প্রক্রিয়া বিপরীতমুখী হয়ে প্রত্যাবর্তন করতে পারে না অর্থাৎ সম্মুখবর্তী ও বিপরীতমুখী প্রতি স্তরে তাপ ও কাজের ফলাফল সমান ও বিপরীত হয় না তাকে অপ্রত্যাবর্তী প্রক্রিয়া বলে।
Bengali
ben
original-annotations
98f0ae710378a0b5fe50df07cffcbde326a4d98f4f490c424be43b7f68f78f2d
স্বাধীন বাংলাদেশ সরকার উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করে কেন?
স্বাধীন বাংলাদেশ সরকারকে উপদেশ ও পরামর্শ দেওয়ার জন্য উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করা হয়। এদেশে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে মুক্তিযুদ্ধকে সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য ১৯৭১ সালের ১০ই এপ্রিল মুজিবনগর সরকার গঠিত হয়। এ সরকার ১৭ই এপ্রিল শপথ গ্রহণ করার মধ্য দিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশ সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়। আর মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে স্বাধীন বাংলাদেশ সরকারকে উপদেশ ও পরামর্শ প্রদানের জন্য ৬ সদস্য বিশিষ্ট উপদেষ্টা পরিষদ গঠিত হয়। এ ৬ জন হলেন মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী, অধ্যাপক মোজাফ্ফর আহমেদ, কমরেড মণি সিং, শ্রী মনোরঞ্জন ধর, তাজউদ্দীন আহমদ ও খন্দকার মোশতাক। এ উপদেষ্টা পরিষদ স্বাধীন বাংলাদেশ সরকারকে পরামর্শ দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল।
Bengali
ben
original-annotations
98f0ae710378a0b5fe50df07cffcbde326a4d98f4f490c424be43b7f68f78f2d
"উত্তর" শব্দের বিভিন্ন অর্থ কি?
উত্তর মানে দিক উত্তর মানে একটি প্রশ্নের উত্তরও
Bengali
ben
original-annotations
50e6c1c0b3b80bf3489010ce91c9799fd9ba2052bf2a3be39592fb970cf39916
বুসান কোন দেশে অবস্থিত?
বুসান দক্ষিণ কোরিয়ায় অবস্থিত
Bengali
ben
original-annotations
50e6c1c0b3b80bf3489010ce91c9799fd9ba2052bf2a3be39592fb970cf39916
আপেক্ষিক তত্ত্ব কে বিকশিত করেন?
আইনস্টাইন
Bengali
ben
original-annotations
50e6c1c0b3b80bf3489010ce91c9799fd9ba2052bf2a3be39592fb970cf39916
পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তিতে মোট বিনিয়োগ কি ২০১১ বা ২০১২ সালে বেশি ছিল? পূর্ববর্তী প্রশ্নের জবাবে, একটি প্রসঙ্গ লিখুন যার মধ্যে উত্তর রয়েছে। এটি ১ থেকে ২০টি বাক্য হতে পারে।
২০১২ সালে পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তিতে (ছোট জলবিদ্যুৎ প্রকল্প সহ) মোট বিনিয়োগ ছিল ২৪৪ বিলিয়ন ডলার, যা ২০১১ সালের তুলনায় ১২% কম, মূলত সৌরশক্তির দামের উল্লেখযোগ্য হ্রাস এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইইউর বাজার দুর্বল হওয়ার কারণে। বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলিতে মোট বিনিয়োগের অংশ হিসাবে, বায়ু এবং সৌর পিভি ২০০০ সালে ১৪% থেকে ২০১২ সালে ৬০% এরও বেশি বেড়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে শীর্ষস্থানীয় দেশগুলো হচ্ছে চীন, জার্মানি, স্পেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইতালি এবং ব্রাজিল। পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি কোম্পানিগুলির মধ্যে রয়েছে ব্রাইটসোর্স এনার্জি, ফার্স্ট সোলার, গামেসা, জিই এনার্জি, গোল্ডউইন্ড, সিনোভেল, ত্রিণা সোলার, ভেস্টাস এবং ইয়িংলি।
Bengali
ben
re-annotations
50e6c1c0b3b80bf3489010ce91c9799fd9ba2052bf2a3be39592fb970cf39916
বাংলাদেশের বেশিরভাগই সোনাই আসে চোরাই পথে। অভিযোগ রয়েছে, বাংলাদেশে যে বিপুল পরিমাণ স্বর্ণের কেনাবেচা হয় তার একটা বড় অংশ আসে চোরাই পথে। এবং বিরাট এই ব্যবসা থেকে সরকার কোন শুল্ক পায় না। বাংলাদেশে স্বর্ণ আমদানির লাইসেন্স পাওয়ার আবেদনপত্র বিতরণের বিষয়টি স্বর্ণ নীতিমালা ২০১৮-র একটি অংশ হিসেবে এসেছে। গত বছর অক্টোবরে মন্ত্রিসভায় নীতিমালাটি অনুমোদিত হয়। আবেদনপত্র বিতরণ শুরু হয়েছে চলতি বছর ১৮ই মার্চ থেকে। কিন্তু কতজন এখন পর্যন্ত এই আবেদন পত্র নিয়েছেন? বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বলছিলেন, এখন পর্যন্ত কেউ এই আবেদনপত্র সংগ্রহ করেনি। তবে তিনি আশ্বস্ত করেন এই বলে যে লাইসেন্স প্রথা চালু হলে মানুষ হয়রানির শিকার হবেন না। "সরকারের যে নিয়ম আছে, যেমন শুল্ক দেয়া হয়, তাহলে এখানে অন্য কোন সমস্যা থাকার কথা না," তিনি বলছেন, "বরং এই লাইসেন্স দেয়ার ফলে ব্যক্তি পর্যায়ে মানুষ হয়রানি মুক্ত হবে । এবং সরকার লাভবান হবে কারণ সরকার এখান থেকে শুল্ক পাবে।" বাংলাদেশে স্বর্ণ নীতিমালা তৈরি হয় ২০১৮ সালে। এই লাইসেন্স নিতে হলে এক কোটি টাকার মূলধন, ট্রেড লাইসেন্সসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট অন্যান্য লাইসেন্স থাকতে হবে এবং ব্যাংকে অফেরতযোগ্য পাঁচ লক্ষ টাকা পে অর্ডার হিসেবে জমা দিতে হবে। এই আবেদনপত্র যেকোন প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি নিতে পারেন। এদিকে সরকারি উদ্যোগকে স্বাগত জানালেও দুটি ইস্যুকে তুলে ধরেছেন স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা। তাদের সংগঠন বাংলাদেশ জুয়েলারি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্ট এসোসিয়েশন বলছে, প্রথমেই সরকারকে সহনশীল মাত্রায় শুল্ক নির্ধারণ করতে হবে। তা না হলে ক্ষতির মুখে পড়বে ব্যবসায়ীরা। এই সমিতির সভাপতি আনোয়ার হোসেন বলছিলেন, বাংলাদেশে সোনার দাম বেশি হলে মানুষ ভারতে গিয়ে সোনা কেনে। "সেজন্যই আমরা বলছি, একটি মনিটরিং কমিটি গঠন করতে হবে এবং পার্শ্ববর্তী দেশের সাথে সঙ্গতি রেখে শুল্ক নির্ধারণ করতে হবে।" "ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটে সাধারণত স্বর্ণের দাম বাংলাদেশের চেয়ে কম। ব্যাংক থেকে ইস্যু করা পিওর সোনার ওপর সরকার একটা শুল্ক বসায়। সেটাতেও দাম কিছুটা বাড়ে," তিনি আরো বলছিলেন, "আমাদের কথা হল - এসব করে দামটা যেন আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশের তুলনায় না বেড়ে যায়।" স্বর্নের গহণা তৈরির শিল্পে জড়িত রয়েছে বহু মানুষ। আরও পড়তে পারেন: গান কেন ছেড়ে দিয়েছিলেন শাহনাজ রহমত উল্লাহ | এই অনুচ্ছেদের জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন |
বাংলাদেশে স্বর্ণ আমদানির লাইসেন্স দিয়ে বৈধভাবে আমদানি কতটা সম্ভব?
Bengali
ben
re-annotations
50e6c1c0b3b80bf3489010ce91c9799fd9ba2052bf2a3be39592fb970cf39916
কেন পৃথিবীতে জোয়ার হয়?
পৃথিবীতে জোয়ার হয় চাঁদের মহাকর্ষীয় আকর্ষণের কারণে। চাঁদ পৃথিবীর চারদিকে আবর্তনকালে পৃথিবীর যে অংশ চাঁদের নিকটবর্তী হয়, সেখানে চাঁদের আকর্ষণ সর্বাপেক্ষা বেশি হয়। এ আকর্ষণে চারদিক হতে জলরাশি এসে চন্দ্রের দিকে ফুলে ওঠে এবং জোয়ার হয়। এরুপে সৃষ্ট জোয়ারকে মুখ্য জোয়ার বা প্রত্যক্ষ জোয়ার বলা হয়। চাঁদের আকর্ষণের পাশাপাশি সূর্যের আকর্ষণও জোয়ারের জন্য দায়ী। তবে, চাঁদের আকর্ষণ সূর্যের আকর্ষণের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ। তাই, চাঁদের আকর্ষণই জোয়ারের জন্য প্রধান কারণ। জোয়ারের ফলে সমুদ্রের জল পর্যায়ক্রমে উঠা-নামা করে। জোয়ারের সময় সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি পায় এবং ভাটার সময় সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা হ্রাস পায়। প্রত্যেক স্থানে জোয়ারের ৬ ঘণ্টা ১৩ মিনিট পরে ভাটা হয়। জোয়ার-ভাটার কিছু উপকারিতা রয়েছে। জোয়ারের সাহায্যে সমুদ্রের পাশে লবণ তৈরি করা হয়। জোয়ারের পানিতে ধরে রেখে রোদে শুকিয়ে লবণ তৈরি করা হয়। জোয়ার-ভাটার কিছু অপকারিতাও রয়েছে। জোয়ারের ফলে উপকূলীয় অঞ্চলে বন্যা হতে পারে। আবার জোয়ারের ফলে সমুদ্রের তীরবর্তী ভূমি ক্ষয় হতে পারে।
Bengali
ben
re-annotations
98f0ae710378a0b5fe50df07cffcbde326a4d98f4f490c424be43b7f68f78f2d
বিজ্ঞাপন নিয়ে একটি অনুচ্ছেদ লিখুন।
বিজ্ঞাপন হলো চিহ্নিত উদ্যোক্তা কর্তৃক অর্থের বিনিময়ে ধারণা, পণ্য ও সেবার নৈর্ব্যক্তিক উপস্থাপনা। আধুনিক বাজার ব্যবস্থাপনায় অপরিহার্য বিষয় বিজ্ঞাপন, যা মূলত একটি একমুখী যোগাযোগ ব্যবস্থা। ‘বিজ্ঞাপন’ শব্দটি ইংরেজি 'Advertising' থেকে এসেছে, যা ল্যাটিন 'Advertre' থেকে বিবর্তিত, যার অর্থ ছিল 'আবর্তিত করা' বা 'ঘোরানো'। অর্থাৎ সাধারণত যে কোনো পণ্য বা সেবার প্রচারণাকেই বিজ্ঞাপন হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। পণ্যের পরিচিতি, পণ্যের চাহিদা সৃষ্টি, পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের সুনাম বৃদ্ধি এবং মুক্তবাজার অর্থনীতিতে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে বিজ্ঞাপনের বিকল্প নেই। বিজ্ঞাপন দেখা ও শোনা যায় টেলিভিশন, সংবাদপত্র, সাময়িকী ও বেতারে। এছাড়াও শহরের বিভিন্ন রাস্তায় দেখা যায় বিলবোর্ড, যাতে পণ্যের প্রচারণা প্রদর্শন করা হয়ে থাকে বেশ বড় আকারে। বিভিন্ন যানবাহন, ইশতেহারের মাধ্যমেও প্রচার করা হয়ে থাকে পণ্যের প্রচারণা। বিজ্ঞাপন তার জাদুকরী শক্তি দিয়ে সমাজের বিভিন্ন লোকের উপকার করে থাকে। সাধারণত পণ্য ও সেবার প্রতি জনসাধারণের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্যে বিজ্ঞাপন প্রচারিত হয়। এছাড়াও বিজ্ঞাপনের বিবিধ উদ্দেশ্য আছে। বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে পণ্য প্রচার করা ছাড়াও প্রচার করা হয় নৈতিক মূল্যবোধ, জনসচেতনতা, বিভিন্ন পরামর্শ, সেবামূলক তথ্য। তাছাড়া উদ্যোক্তারা তাদের পণ্যের চলন্ত অবস্থা প্রচার করে শেয়ারহোল্ডারও সংগ্রহ করে। তবে অর্থনৈতিক ও সামাজিক দিক থেকে বিজ্ঞাপনের ভালো-মন্দ উভয় প্রভাবই রয়েছে। অনেক সময় বিজ্ঞাপনে প্রভাবিত হয়ে ক্রেতা ভুল পণ্যটি কিনে ক্ষতির সম্মুখীন হয়। তবে বর্তমানে কঠিন প্রতিযোগিতার মাধ্যমে উৎপাদিত পণ্য বিক্রি করতে হয়। এজন্যে কার্যকরী এবং যথার্থ বিজ্ঞাপনই একমাত্র বাহন। আধুনিক জীবনে মানুষের জীবনকে অনেকটা নিয়ন্ত্রণ করে এসব বিজ্ঞাপন। মানুষ পোশাক, প্রসাধনী, খাবার, জীবন কৌশল সবকিছু বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে নির্বাচন করে থাকে। ব্যবসার ক্ষেত্রে বিজ্ঞাপন নতুন ক্রেতা বাড়াতে পারে, তাই এটা ব্যয়বহুল হলেও উদ্যোক্তার মুনাফা অর্জনে সহায়ক। বিশেষত নাগরিক জীবনকে জীবনমুখী ও বৈচিত্র্যময় করে তুলেছে বিজ্ঞাপন, যা ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়ের জন্যে গুরুত্বপূর্ণ।
Bengali
ben
original-annotations
98f0ae710378a0b5fe50df07cffcbde326a4d98f4f490c424be43b7f68f78f2d
একটি শহরের একটি বৃষ্টির দিন বর্ণনা করুন
সকাল থেকে অবিরাম বৃষ্টি হচ্ছে। রেইনকোট পরা পথচারীরা রঙিন ছাতা ধরে ফুটপাথে হাঁটছে। গর্ত থেকে ঘোলা জল ছিটিয়ে গাড়িগুলি তাদের পাশ দিয়ে চলে গেল। কিছু রাস্তা জলাবদ্ধ ছিল। বৃষ্টির কারণে স্কুল ছুটি দিয়েছে। বিষণ্ণ মেঘগুলি উঁচু দালানের উপর ঝুলছে। খুব কম লোকই ক্যাফেতে গরম কফিতে চুমুক দিয়ে কাজ করত এবং গাছের পাতা থেকে ঝরে পড়া বৃষ্টির ফোঁটার দিকে তাকিয়ে থাকত। এটি একটি শান্তিপূর্ণ বৃষ্টির দিন ছিল।
Bengali
ben
original-annotations
50e6c1c0b3b80bf3489010ce91c9799fd9ba2052bf2a3be39592fb970cf39916
অ্যানালগ কম্পিউটার হলো এমন কম্পিউটার
যা কোনো কম্পিউটিং সমস্যাকে ভৌত বৈশিষ্ট্য যেমন ইলেকট্রিক, যান্ত্রিক, বা হাইড্রলিক-এর ভৌত এবং চলমান (continuous variable) পরিমাপে মডেল হিসেবে রূপ দেয়া হয়। অপরদিকে, ডিজিটাল কম্পিউটার-এ সমস্যাটিকে ধাপবিশিষ্ট সংখ্যামানে মডেল করা হয়।
Bengali
ben
original-annotations
88db84a0b11cb6ec28a6985134812f533c6c4b61df21810d92ae43bce6adf22a
নিচের অনুচ্ছেদের বিষয় কি? ১৮৮৩ সালে রাষ্ট্রগুরু সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় জাতীয় সম্মেলনের আয়োজন করেন। এটিই ছিল ঊনবিংশ শতাব্দীর ভারতের প্রথম রাজনৈতিক সম্মেলন। এরপর ধীরে ধীরে কলকাতা ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের এক গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে পরিণত হয়। বিশেষত বিপ্লবী সংগঠনগুলির অন্যতম প্রধান কেন্দ্রে পরিণত হয় কলকাতা শহর। ১৯০৫ সালে সাম্প্রদায়িক ভিত্তিতে বঙ্গভঙ্গের প্রতিবাদে কলকাতায় ব্যাপক গণবিক্ষোভ ও ব্রিটিশ দ্রব্য বয়কট (স্বদেশী আন্দোলন) শুরু হয়। এই সব গণআন্দোলনের তীব্রতা এবং দেশের পূর্বভাগে অবস্থিত কলকাতা থেকে দেশ শাসনের প্রশাসনিক অসুবিধার কারণে ১৯১১ সালে ব্রিটিশ ভারতের রাজধানী দিল্লিতে স্থানান্তরিত করা হয়। ১৯২৩ সালে ক্যালকাটা মিউনিসিপ্যাল অ্যাক্টের অধীনে কলকাতার স্থানীয় স্বায়ত্তশাসন কর্তৃপক্ষ কলকাতা পৌরসংস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯২৪ সালে এই পৌরসংস্থার প্রথম মেয়র নির্বাচিত হন দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ। পরবর্তীকালে সুভাষচন্দ্র বসু, বিধানচন্দ্র রায়, আবুল কাশেম ফজলুল হক প্রমুখ বিশিষ্ট স্বাধীনতা সংগ্রামীরা এই পদ অলংকৃত করেছিলেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন জাপানি সেনাবাহিনী একাধিকবার কলকাতা শহর ও বন্দরে বোমা নিক্ষেপ করেছিল। কলকাতায় জাপানি বোমাবর্ষণের প্রথম ও শেষ ঘটনাটি ঘটে যথাক্রমে ১৯৪২ সালের ২০ ডিসেম্বর এবং ১৯৪৪ সালের ২৪ ডিসেম্বর। যুদ্ধের সময় কলকাতায় পঞ্চাশের মন্বন্তরে লক্ষাধিক মানুষ অনাহারে মারা যান। এই মন্বন্তরের কারণ ছিল সামরিক তাণ্ডব, প্রশাসনিক ব্যর্থতা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ। ১৯৪৬ সালে পৃথক মুসলিম রাষ্ট্র পাকিস্তানের দাবিতে এক ভয়ংকর সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় কলকাতায় চার হাজারেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারান। ভারত বিভাগের সময়ও বহু মানুষ সাম্প্রদায়িকতার শিকার হন। দেশভাগের পর বহুসংখ্যক মুসলমান পূর্ব পাকিস্তানে পাড়ি জমান এবং সেই দেশের লক্ষ লক্ষ হিন্দু কলকাতায় চলে আসেন। এর ফলে শহরের জনপরিসংখ্যানে একটি বিরাট পরিবর্তন সূচিত হয়।
পঞ্চাশের মন্বন্তরে |
Bengali
ben
re-annotations
50e6c1c0b3b80bf3489010ce91c9799fd9ba2052bf2a3be39592fb970cf39916
নিম্নলিখিত বাক্যাংশটি সম্পূর্ণ করুন: ১৯৯৯ খ্রিষ্টাব্দে কার্গিল যুদ্ধের
সময় পাকিস্তানি সেনাবাহিনী এই সড়কের ওপর গোলাবর্ষণ করে ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রচুর ক্ষয় ক্ষতি করে। এই জাতীয় সড়ক ভারতীয় সেনাবাহিনীর সৈন্য, রসদ ও সরঞ্জাম সরবরাহ করতে ব্যবহৃত হওয়ায় পাকিস্তানি গোলাবর্ষণ ভারতের সামরিক কৌশলে জটিল সমস্যার সৃষ্টি করে। এর ফলে ভারতীয় ভূখন্ডের সঙ্গে লেহ শহর বিচ্ছিন্ন হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়। সেই কারণে ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রাথমিক লক্ষ্য থাকে ১ডি নং জাতীয় সড়কের নিকটবর্তী সমস্ত পাহাড় থেকে শত্রুপক্ষের ঘাঁটিগুলিকে কব্জা করা। এই কৌশলের দ্বারা ভারতীয় সেনাবাহিনী সর্বপ্রথম ১ডি নং জাতীয় সড়কের নিকটবর্তী দ্রাসের টাইগার হিল ও টোলোলিং এবং এর পরে বাটালিক দখল করে। প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি স্বীকার করে ভারতীয় সেনাবাহিনী ১ডি নং জাতীয় সড়কের নিকটবর্তী পয়েন্ট ৪৫৯০ ও পয়েন্ট ৫৩৫৩ দখল করে ১ডি নং জাতীয় সড়ক থেকে পাকিস্তানের দৃষ্টি সরিয়ে দিতে সক্ষম হয়।
Bengali
ben
re-annotations
50e6c1c0b3b80bf3489010ce91c9799fd9ba2052bf2a3be39592fb970cf39916
সুমনের মামা রাঙামাটিতে চাকরি করেন। সুমন সেখানে বেড়াতে গেলে মামা তাকে একটি বাঁধ দেখিয়ে বললেন, এ বাঁধ দিয়ে সবচেয়ে কম খরচে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে। তিনি আরও বললেন, আমাদের আরেকটি সম্পদ আছে, যেটি ব্যবহার করে বিদ্যুৎসহ অন্যান্য ক্ষেত্রের জ্বালানি চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে। সুমনের মামা প্রথমে যে বিদ্যুৎ উৎপাদনের কথা বললেন তা ব্যাখ্যা করো।
উদ্দীপকে সুমনের মামা প্রথমে যে বিদ্যুৎ উৎপাদনের কথা বলেন তা হলো জলবিদ্যুৎ। নদী বা জলপ্রপাতের পানিপ্রবাহের বেগ ব্যবহার করে টারবাইন যন্ত্রের সাহায্যে যে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয় তাকে জলবিদ্যুৎ বলে। এটি একটি নবায়নযোগ্য শক্তি সম্পদ। পাকিস্তান আমলে পার্বত্য চট্টগ্রামের কাপ্তাইয়ে কর্ণফুলী নদীতে বাঁধ দিয়ে প্রথম জলবিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয়। তেল, গ্যাস বা কয়লা ব্যবহারের মাধ্যমে যে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয় তার উৎপাদন খরচ অনেক বেশি এবং তা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। সেই তুলনায় জলবিদ্যুতের উৎপাদন খরচ অনেক কম। তা পরিবেশবান্ধবও। এ কারণে নদীর পানিপ্রবাহের শক্তি ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত লাভজনক। তবে জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য উপযোগী পাহাড়ি নদীর সংখ্যা বাংলাদেশে খুব কম। উদ্দীপকে বর্ণিত সুমনের মামার দেখানো জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি পার্বত্য চট্টগ্রামে অবস্থিত কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রকেই নির্দেশ করে। এখানে উৎপাদিত বিদ্যুৎ দেশের জ্বালানি চাহিদা মেটাতে ভূমিকা রাখে।
Bengali
ben
original-annotations
98f0ae710378a0b5fe50df07cffcbde326a4d98f4f490c424be43b7f68f78f2d
নিম্নলিখিত জন্য একটি ধারাবাহিকতা লিখুন : অভিস্রবণিক চাপ হলো
ন্যূনতম চাপ যা অর্ধভেদ্য পর্দা দ্বারা এর দ্রাবকের অভ্যন্তরীণ প্রবাহ রোধ করার জন্য একটি দ্রবণ যোগ করা । অন্যভাবে বলা যায় বিশুদ্ধ দ্রাবক গ্রহণ করার প্রবণতা পরিমাপ করাই হলো অভিস্রবণ
Bengali
ben
re-annotations
50e6c1c0b3b80bf3489010ce91c9799fd9ba2052bf2a3be39592fb970cf39916
নিচের লেখাটির সারাংশ লেখ: মানুষের সুন্দর মুখ দেখে আনন্দিত হয়ো না। স্বভাবে সে সুন্দর নয়, দেখতে সুন্দর হলেও তার স্বভাব, তার স্পর্শ, তার রীতিনীতিকে মানুষ ঘৃণা করে। দুঃস্বভাবের মানুষ মানুষের হৃদয়ে জ্বালা ও বেদনা দেয়। তার সুন্দর মুখে মানুষ তৃপ্তি পায় না। অবোধ লোকেরা মানুষের রূপ দেখে মুগ্ধ হয় এবং তার ফল ভোগ করে। যার স্বভাব মন্দ, সে নিজেও দুষ্ক্রিয়াশীল, মিথ্যাবাদী, দুর্মতিকে ঘৃণা করে। মানুষ নিজে স্বভাবে সুন্দর না হলেও সে স্বভাবের সৌন্দর্যকে ভালোবাসে। স্বভাব গঠনে কঠিন পরিশ্রম ও সাধনা চাই, নইলে শয়তানকে পরাজিত করা সম্ভব নয়।
বাহ্যিক সৌন্দর্য নয়, স্বভাবের সৌন্দর্যই মানুষকে বিচারের মাপকাঠি। খারাপ স্বভাবের মানুষও বাহ্যিক সৌন্দর্যের অধিকারী হতে পারে। আর যারা খারাপ স্বভাবের তারাও সুন্দর স্বভাবের মানুষকে পছন্দ করে। তাই কঠোর পরিশ্রম ও সাধনার মাধ্যমে সুন্দর স্বভাবের অধিকারী হতে হবে।
Bengali
ben
original-annotations
98f0ae710378a0b5fe50df07cffcbde326a4d98f4f490c424be43b7f68f78f2d
অনুচ্ছেদটি পড়ুন এবং প্রশ্নের উত্তর দিন : গণেশ পুরাণ – গণেশ পুরাণ-এ উল্লিখিত গণেশের চার অবতার সত্য, ত্রেতা, দ্বাপর ও কলিযুগে অবতীর্ণ হন। এঁরা হলেন – মহোৎকট বিনায়ক – ইনি দশভূজ ও রক্তবর্ণ। বিভিন্ন সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্যে দেখা যায় এঁর বাহন হয় হাতি নয় সিংহ। ইনি সত্য যুগে কশ্যপ ও অদিতির সন্তান হয়ে জন্মগ্রহণ করেন এবং সেই কারণে কাশ্যপেয় নামে পরিচিত হন। [58] এই অবতারে তিনি নরান্তক ও দেবান্তক নামে দুই অসুরভ্রাতা ও ধূম্রাক্ষ নামে এক দৈত্যকে বধ করেন। ময়ূরেশ্বর – ইনি ষড়ভূজ ও শ্বেতবর্ণ। বাহন ময়ূর। ত্রেতা যুগে শিব ও পার্বতীর পুত্ররূপে এঁর জন্ম। এই অবতারে তিনি সিন্ধু নামে এক দৈত্যকে বধ করেন। অবতারকাল সমাপ্ত হলে ময়ূরটি তিনি তাঁর ভ্রাতা কার্তিকেয়কে দান করেন। গজানন – ইনি চতুর্ভুজ ও রক্তবর্ণ। বাহন ইঁদুর। ইনি দ্বাপর যুগে শিব ও পার্বতীর পুত্র হয়ে জন্মগ্রহণ করেন। সিন্দুর নামে এক দৈত্যকে তিনি এই অবতারে বধ করেন। এই অবতারেই রাজা বরেণ্যর নিকট তিনি গণেশ গীতা প্রকাশ করেন। ধূম্রকেতু – দ্বিভূজ অথবা চতুর্ভূজ ও ধূম্রবর্ণ। বাহন নীল ঘোড়া। ইনি কলি যুগের শেষে অবতীর্ণ হবেন ও অনেক দৈত্য বধ করবেন। এই অবতার বিষ্ণুর শেষ অবতার কল্কির অনুসরণে কল্পিত। মুদ্গল পুরাণ – মুদ্গল পুরাণ-এ গণেশের আটজন অবতারের বর্ণনা পাওয়া যায়। এঁরা হলেন – বক্রতুণ্ড – প্রথম অবতার। এঁকে ব্রহ্মের অংশ ও পরম বলে মনে করা হয়। ইনি সিংহবাহন। এই অবতারের উদ্দেশ্য মাৎসর্যাসুর (অর্থাৎ ঈর্ষা) বধ। একদন্ত – ইনি প্রত্যেক ব্যক্তিগত আত্মা ও পরমব্রহ্মের প্রতীক। ইনি মুষিকবাহন। এই অবতারের উদ্দেশ্য মদাসুর (অর্থাৎ, অহং) বধ। মহোদর – ইনি বক্রতুণ্ড ও একদন্তের সম্মিলিত রূপ। ব্রহ্মের প্রজ্ঞার প্রতীক। মোহাসুর (অর্থাৎ সংশয়) বধ এই অবতারের উদ্দেশ্য। ইনিও মুষিকবাহন। গজবক্ত্র বা গজানন – মহোদরের অন্যরূপ। লোভাসুর (অর্থাৎ লোভ) বধ এই অবতারের উদ্দেশ্য। লম্বোদর – ব্রহ্মের শক্তির প্রতীক। ইনি মুষিকবাহন। ক্রোধাসুর (অর্থাৎ রাগ) বধ এই অবতারের উদ্দেশ্য। বিকট – সূর্যের প্রতীক। জ্যোতির্ময় ব্রহ্মের প্রকাশ। কামাসুর (অর্থাৎ কামনাবাসনা) বধ এই অবতারের উদ্দেশ্য। ইনি ময়ূরবাহন। বিঘ্নরাজ – বিষ্ণুর প্রতীক। ব্রহ্মের অস্তিত্বের প্রকাশ। মমাসুর (অর্থাৎ অহংকার) বধের উদ্দেশ্যে এই অবতার। ধূম্রবর্ণ – শিবের প্রতীক। ব্রহ্মের বিনাশ শক্তির প্রকাশ। ইনি অশ্ববাহন। অভিমানাসুর (অর্থাৎ গরিমা) বধের উদ্দেশ্যে এই অবতার। প্রশ্ন : হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী গণেশের সহোদর কে ?
হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী গণেশের সহোদর কার্তিকেয় |
Bengali
ben
re-annotations
50e6c1c0b3b80bf3489010ce91c9799fd9ba2052bf2a3be39592fb970cf39916
বাংলাদেশকে ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চল বলা হয় কেন? ব্যাখ্যা কর।
ভৌগোলিকভাবে বাংলাদেশ ভূমিকম্পের ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলে অবস্থিত হওয়ায় বাংলাদেশকে ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চল বলা হয়। ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণে বাংলাদেশ ইন্ডিয়ান ও ইউরোপিয়ান প্লেটের সীমানার কাছে অবস্থিত। ভূ-তাত্ত্বিকদের মতে, বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ও এর পার্শ্ববর্তী বিশেষ করে উত্তর ও পূর্বদিকে ভূমিকম্প হওয়ার মতো যথেষ্ট ফল্ট বা চ্যুতি বিরাজ করছে। তাছাড়া ভূমিরূপ ও ভূ-অভ্যন্তরীণ অবকাঠামোগত কারণে বাংলাদেশে ভূ-আলোড়নজনিত শক্তি কার্যকর এবং এর ফলে এখানে ভূমিকম্প হয়। এ কারণে বাংলাদেশকে ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চল বলা হয়।
Bengali
ben
original-annotations
98f0ae710378a0b5fe50df07cffcbde326a4d98f4f490c424be43b7f68f78f2d
নিম্নোক্ত অনুচ্ছেদের সারাংশ বলো: এ যুগে পাঠক হচ্ছে জনসাধারণ, সুতরাং তাদের মনোরঞ্জন করতে হলে অতি সস্তা খেলনা গড়তে হবে, নইলে তা বাজারে কাটবে না। এবং সস্তা করার অর্থ খেলা করা। বৈশ্য লেখকের পক্ষেই শূদ্র পাঠকের মনোরঞ্জন করা সঙ্গত। অতএব সাহিত্যে আর যাই কর না কেন, পাঠক সমাজের মনোরঞ্জন করবার চেষ্টা করো না।
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারাংশ নিম্নরূপ: পাঠকের মনোরঞ্জন করতে গেলে সাহিত্য তার ধর্মচ্যুত হয়। সাহিত্যের উদ্দেশ্য আনন্দ দেয়া, মনোরঞ্জন নয়। মনোরঞ্জন করতে গেলে সাহিত্য খেলনার মত সামান্য হয়ে যায়।
Bengali
ben
original-annotations
98f0ae710378a0b5fe50df07cffcbde326a4d98f4f490c424be43b7f68f78f2d
অনুগ্রহ করে এই অনুচ্ছেদের জন্য একটি ধারাবাহিকতা লিখুন : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতিক হেনরি কিসিঞ্জার ১৯৭১ সালে জর্দানের রাজা হুসেন বিন তালালকে চিঠি পাঠিয়েছিলেন,
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকে উৎসাহিত করেছিলেন । রাষ্ট্রপতি নিকসন জর্দানকে পাকিস্তানে সামরিক সরবরাহ প্রেরণে উৎসাহিত করেছিলেন। নিক্সনের অনুমতি নিয়ে জর্দান দশটি এফ -104 বিমান পাঠিয়েছিল এবং তাকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রতিস্থাপনের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও পশ্চিম পাকিস্তানে সামরিক সরবরাহ প্রেরণ করে এবং তাদের জর্ডানের মধ্য দিয়ে চালিত করেছিল। জর্ডানের বিমানের ছয়টি বিমান ফিরতে ব্যর্থ হয়েছিল।
Bengali
ben
re-annotations
50e6c1c0b3b80bf3489010ce91c9799fd9ba2052bf2a3be39592fb970cf39916
পুঁজিবাদ ও সমাজতন্ত্রের পার্থক্য কী?
পুঁজিবাদ ও সমাজতন্ত্র হলো বর্তমান বিশ্ব প্রচলিত দুটি প্রধান অর্থনৈতিক ব্যবস্থা। পুঁজিবাদে অর্থনীতি ব্যক্তিগত মালিকানা ও লাভের উপর ভিত্তি করে পরিচালিত হয়। সমাজতন্ত্রে অর্থনীতি রাষ্ট্রীয় মালিকানা ও নিয়ন্ত্রণের উপর ভিত্তি করে পরিচালিত হয়। পুঁজিবাদের প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলি হলো: * ব্যক্তিগত মালিকানা: পুঁজিবাদে, ভূমি, কারখানা, ব্যবসা এবং সম্পদের অন্যান্য রূপ ব্যক্তিগত মালিকানায় থাকে। * লাভের উদ্দেশ্য: পুঁজিবাদী সংস্থাগুলির উদ্দেশ্য হলো লাভ অর্জন করা। * মুক্ত বাজার: পুঁজিবাদে, পণ্য ও পরিষেবার দাম বাজারে প্রতিযোগিতার দ্বারা নির্ধারিত হয়। সমাজতন্ত্রের প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলি হলো: * রাষ্ট্রীয় মালিকানা: সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতিতে, ভূমি, কারখানা, ব্যবসা এবং সম্পদের অন্যান্য রূপ রাষ্ট্রীয় মালিকানায় থাকে। * সাধারণ কল্যাণ: সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতির লক্ষ্য হলো সাধারণ কল্যাণ অর্জন করা। * রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণ: সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতিতে রাষ্ট্র অর্থনীতির পরিকল্পনা ও নিয়ন্ত্রণ করে। পুঁজিবাদ ও সমাজতন্ত্রের মধ্যে প্রধান পার্থক্যগুলো হলো: * মালিকানা: পুঁজিবাদে ব্যক্তিগত মালিকানা প্রচলিত, যেখানে সমাজতন্ত্র রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন। * উদ্দেশ্য: পুঁজিবাদের উদ্দেশ্য ব্যক্তির লাভ, কিন্তু সমাজতন্ত্রের উদ্দেশ্য সাধারণ কল্যাণ। * বাজার: পুঁজিবাদে মুক্ত বাজার কিন্তু সমাজতন্ত্রে রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণ। পুঁজিবাদ ও সমাজতন্ত্রের উভয়েরই নিজস্ব সুবিধা ও অসুবিধা রয়েছে। পুঁজিবাদ উদ্ভাবন ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির জন্য উৎসাহিত করে, কিন্তু এটি বৈষম্য ও অসমতার দিকেও নিয়ে যেতে পারে। সমাজতন্ত্র অর্থনৈতিক সমতা ও সামাজিক নিরাপত্তা প্রদান করে, কিন্তু এটি উদ্ভাবন ও উৎপাদনশীলতা হ্রাস করতে পারে। বিশ্বের বেশিরভাগ দেশ মিশ্র অর্থনীতি অনুসরণ করে, যা পুঁজিবাদ ও সমাজতন্ত্রের কিছু বৈশিষ্ট্যকে একত্রিত করে তৈরি হয়েছে। মিশ্র অর্থনীতিতে, কিছু শিল্প ব্যক্তিগত মালিকানায় থাকে, অন্যগুলি রাষ্ট্রীয় মালিকানায় থাকে।
Bengali
ben
original-annotations
98f0ae710378a0b5fe50df07cffcbde326a4d98f4f490c424be43b7f68f78f2d
স্থানীয় সময়ের পার্থক্য ধারণাটি উদাহরণসহ ব্যাখ্যা করো।
স্থানীয় সময়ের পার্থক্য বলতে পৃথিবীর আহ্নিক গতির ফলে বিভিন্ন স্থানের মধ্যে সময়ের যে পার্থক্য দেখা দেয় তাকে বোঝায়। পৃথিবী নিজ অক্ষ বরাবর পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে আবর্তন করছে। ফলে ভূ-পৃষ্ঠের বিভিন্ন স্থান ভিন্ন ভিন্ন সময়ে সূর্যের সামনে আসছে। যে সময়ে কোনো স্থানের মধ্যরেখা সূর্যের ঠিক সামনে আসে তখন ঐ স্থানে মধ্যাহ্ন হয় এবং ঘড়িতে বেলা ঠিক ১২টা বাজে। মধ্যাহ্ন অনুসারে দিনের অন্যান্য সময় নির্ধারণ করা হয়। সাধারণত ১ ডিগ্রি দ্রাঘিমার পার্থক্যের জন্য সময়ের পার্থক্য হয় ৪ মিনিট। কোনো অঞ্চলে যখন বেলা ১২টা বাজে তখন সেই অঞ্চল থেকে পূর্ব দিকে গেলে প্রতি ডিগ্রি দ্রাঘিমার জন্য সময় ৪ মিনিট করে বাড়ে এবং পশ্চিমে গেলে ৪ মিনিট করে সময় কমে। আর একারণেই স্থানীয় সময় বিভিন্ন জায়গায় ভিন্ন হয়।
Bengali
ben
original-annotations
98f0ae710378a0b5fe50df07cffcbde326a4d98f4f490c424be43b7f68f78f2d
রূপা তার বাবা-মায়ের সাথে সুনামগঞ্জে বেড়াতে গিয়েছিল। আজমিরিগঞ্জ থেকে নৌপথে তারা চাঁদপুরে পৌছে। পথিমধ্যে তারা অনেক জলধারার মিলনস্থল দেখতে পায়। নদী ও নদীর অপরূপ দৃশ্য দেখে রূপা ও তার বাবা-মায়ের মনে নানামুখী প্রশ্ন জাগে। একপর্যায়ে রূপার বাবা বলেন, এ নদী আমাদের জীবনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। রূপা ও তার পরিবার যে নদীপথে ভ্রমণ করেছে তার গতিপথ বিশ্লেষণ করুন।
রূপা ও তার পরিবার যে নদীপথে ভ্রমণ করেছে তা হলো মেঘনা নদী। বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান নদী মেঘনার জন্ম হয়েছে সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর মিলনস্থলে। আসামের বরাক নদী নাগা-মণিপুর অঞ্চল থেকে উৎপন্ন হয়ে সুরমা ও কুশিয়ারা হিসেবে সিলেট জেলায় প্রবেশ করেছে। পরে এটি সুনামগঞ্জের আজমিরিগঞ্জের কাছে কালনী নাম নিয়েছে। এরপর এ নদী দক্ষিণ-পশ্চিমে অগ্রসর হয়ে মেঘনা নাম ধারণ করেছে। মেঘনা ভৈরববাজার অতিক্রম করে পুরাতন ব্রহ্মপুত্রের সাথে মিলিত হয়েছে। এরপর মুন্সীগঞ্জ হয়ে চাঁদপুরের কাছে পদ্মার সাথে মিলিত হয়ে বিস্তৃত মোহনার মাধ্যমে বঙ্গোপসাগরে পড়েছে। উদ্দীপকে দেখা যায়, রূপা তার বাবা-মায়ের সাথে আজমিরিগঞ্জ থেকে নৌপথে চাঁদপুর পৌছে। সেখানে তারা বেশ কয়েকটি নদীর মিলনস্থল দেখতে পায়। কথা প্রসঙ্গে রূপার বাবা বলেন, যে নদীপথে তারা ভ্রমণ করছেন তা আমাদের জীবনে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এর মাধ্যমে বোঝা যায়, উদ্দীপকে মেঘনা নদীর প্রতিই ইঙ্গিত করা হয়েছে। কারণ মেঘনা আমাদের নৌপথের গুরুত্বপূর্ণ অংশ এবং এটিই চাঁদপুরে পদ্মার সাথে মিলিত হয়েছে।
Bengali
ben
original-annotations
98f0ae710378a0b5fe50df07cffcbde326a4d98f4f490c424be43b7f68f78f2d
ইসরো কী?
ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ইসরো) ভারতের রাষ্ট্রীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা, যার কার্যালয় বেঙ্গালুরু শহরের অবস্থিত। মহাকাশ গবেষণার প্রয়োজনীয়তা স্বীকার করে বিজ্ঞানী বিক্রম সারাভাইয়ের অনুরোধে ১৯৬২ সালে জওহরলাল নেহেরু পরমাণু শক্তি বিভাগের (ডিএই) অধীনে ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল কমিটি ফর স্পেস রিসার্চ (ইনকোসপার) প্রতিষ্ঠা করেন। ডিএই-এর মধ্যে ইনকোসপার বিকশিত হয়ে ১৯৬৯ সালে ইসরো হয়ে ওঠে |
Bengali
ben
original-annotations
5f3397f86a04bd591aaa77ca39eb85f0ac496637fe5770a290252b66359205ad
এই অনুচ্ছেদের জন্য একটি ধারাবাহিকতা লিখুন | এদেশের স্বাধিকার আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধে
অসাধারণ অবদানের জন্য ২০০১ সালে দেশের “সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার” হিসাবে পরিচিত “স্বাধীনতা পুরস্কার” প্রদান করা হয় তাকে।
Bengali
ben
re-annotations
50e6c1c0b3b80bf3489010ce91c9799fd9ba2052bf2a3be39592fb970cf39916
নিম্নলিখিত শিরোনাম এবং সারাংশের উপর ভিত্তি করে একটি নিবন্ধ তৈরি করুন | শিরোনাম : সিরিয়ায় যুদ্ধ শেষ হলেও কি তারা দেশে ফিরতে পারবে? সারাংশ: ভয়াবহ যুদ্ধের কারণেই বাড়িঘর ছেড়ে বাস্তুচ্যুত হয়েছে সিরিয়ার বহু মানুষ। কিন্তু যুদ্ধ শেষ হলেও কি তারা ফিরতে পারবে?
গৃহযুদ্ধ শুরুর পর সিরিয়া ছেড়েছে দেশটির অন্তত ৫০ লাখ মানুষ সিরিয়ায় ২০১১ সালে গৃহযুদ্ধ শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছে প্রায় পঞ্চাশ লাখ মানুষ। মূলত তাদের বেশিরভাগই আশ্রয় নিয়েছে প্রতিবেশী দেশগুলোতে। সবচেয়ে বেশি সংখ্যক শরণার্থী এখন তুরস্কে যার সংখ্যা প্রায় ৩৫ লাখ। আর লেবাননে আছে আরও প্রায় দশ লাখ। আর পাঁচ লাখেরও মতো শরণার্থীর জায়গা হয়েছে জার্মানিতে। এছাড়া ইউরোপের আরও কয়েকটি দেশে আছে অল্প কিছু শরণার্থী। আরো পড়ুন: যুদ্ধবিরতি সমঝোতার পরও সিরিয়ায় হামলা সিরিয
Bengali
ben
re-annotations
50e6c1c0b3b80bf3489010ce91c9799fd9ba2052bf2a3be39592fb970cf39916
একটি জেব্রা কি অনন্য স্ট্রাইপ আছে?
হ্যাঁ প্রতিটি জেব্রার একটি অনন্য স্ট্রাইপ রয়েছে, যা আঙ্গুলের ছাপের মতোই স্বতন্ত্র
Bengali
ben
original-annotations
50e6c1c0b3b80bf3489010ce91c9799fd9ba2052bf2a3be39592fb970cf39916
কোন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে অনুচ্ছেদ ? ৪ বছর পর পর রাষ্ট্রপতি নির্বাচন হয়ে থাকে। একজন রাষ্ট্রপতি কেবল মাত্র দুইবার পূর্ণ মেয়াদের জন্য নির্বাচিত হতে পারেন। এছাড়া কোনো কারণে রাষ্ট্রপতির পদ খালি হলে সেই দায়িত্ব যিনি গ্রহণ করবেন, তিনি এই মেয়াদের ২ বছর এবং পরে সর্বোচ্চ ২ মেয়াদের জন্য, এভাবে সর্বমোট ১০ বছর ক্ষমতায় থাকতে পারেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি |
Bengali
ben
re-annotations
50e6c1c0b3b80bf3489010ce91c9799fd9ba2052bf2a3be39592fb970cf39916
নিম্নলিখিত অনুচ্ছেদের বিষয় কি? পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি জুলফিকার আলী ভুট্টোর অনুরোধে পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে ১৯৭১ সালের ডিসেম্বর মাসে এই কমিশন গঠন করে। এই কমিশনকে "গণহত্যা এবং ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের পারিপার্শ্বিক সকল ঘটনা এবং অবস্থার পুর্নাঙ্গ প্রতিবেদন তৈরি" এবং সেই সঙ্গে "পূর্ব হাইকমান্ডের কমান্ডার কোন অবস্থায় আত্মসমর্পণ করে" সেটাও খতিয়ে দেখার দায়িত্ব দেয়া হয়। এবং সেই সঙ্গে পশ্চিম পাকিস্তান এবং ভারতের মধ্যে জম্মু এবং কাশ্মীরে যুদ্ধ নিয়েও প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। এই কমিশন গঠন করা হয় ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের তৎকালীন বাংগালি বংশভুত প্রধান বিচারপতি হামুদুর রহমানকে প্রধান করে।
নিম্নলিখিত অনুচ্ছেদের বিষয় ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ |
Bengali
ben
re-annotations
50e6c1c0b3b80bf3489010ce91c9799fd9ba2052bf2a3be39592fb970cf39916
এই অনুচ্ছেদের বিষয় কি ? তিনি বাংলাদেশের 1971 সালের যুদ্ধে শর্মিলা বসুর একটি বই, "ডেড রেকনিংয়ের" প্রাথমিক সমালোচক ছিলেন। এ বিষয়ে তার প্রতিক্রিয়া "বিবিসি" তে প্রকাশ পায়। এছাড়া "র্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সাপ্তাহিক" ("1971 সালের প্রকৃত হিসাবের জন্য অপেক্ষা করা") শিরোনামে প্রকাশিত হয়। সাম্প্রতিক সময়ে তিনি এ এ বিষয়ে একাধিক মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া জানান
এই অনুচ্ছেদের বিষয় 1971 সালের যুদ্ধে |
Bengali
ben
re-annotations
50e6c1c0b3b80bf3489010ce91c9799fd9ba2052bf2a3be39592fb970cf39916
কৃষিতে কেঁচোর গুরুত্ব কত?
কেঁচো মাটির পুষ্টি বাড়ায় তাই ফসলের ফলন ও বৃদ্ধির উন্নতি ঘটায়
Bengali
ben
original-annotations
50e6c1c0b3b80bf3489010ce91c9799fd9ba2052bf2a3be39592fb970cf39916
নারীশিক্ষা নিয়ে অনুচ্ছেদ রচনা করুন।
আমাকে একজন শিক্ষিত মা দাও, আমি তোমাদের একটি শিক্ষিত জাতি দেব— নেপোলিয়ানের এই চিরস্মরণীয় কথার প্রতিধ্বনি আজও বিশ্বব্যাপী অনুরণিত হচ্ছে। কেননা বিশ্বের লক্ষ লক্ষ নারী এখনো শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত। ফলে সন্তানের প্রথম শিক্ষকই থেকে যাচ্ছে শিক্ষার অন্তরালে। উন্নত জাতি গঠনে তৈরি হচ্ছে প্রতিবন্ধকতা। সন্তান শিক্ষিত না। হলে স্বাভাবিকভাবেই জাতির ভবিষ্যৎ অন্ধকার। কেননা আজকের শিশুই তো আগামী দিনের কর্ণধার। ফলে একটি দেশের সমাজ, রাষ্ট্র, পরিবার, সে দেশের উন্নয়ন ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা এমনকি ব্যক্তিগত, উৎকর্ষের ক্ষেত্রেও নারীশিক্ষার প্রয়োজন। নোবেলবিজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন নারীশিক্ষা প্রসঙ্গে বলেছেন, নারীশিক্ষা একটি দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের প্রধান উপকরণসমূহের মধ্যে অন্যতম। তাই আজ সভ্যতার বিকাশে নারীশিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন সারাজীবন নারীশিক্ষার জন্য লেখালেখি করেছেন। কেননা তিনি অনুধাবন করতে পেরেছিলেন যে, পুরুষের পাশাপাশি নারীকেও হতে হবে শিক্ষিত ও স্বাবলম্বী। নচেৎ বাঙালি পুরুষ একাকি উন্নতির শিখরে আরোহন করতে পারবে না। আজ একবিংশ শতাব্দীর এই অগ্রগতির সময়েও আমাদের অধিকাংশ নারীই শিক্ষাবঞ্চিত। ফলে নারীশিক্ষার অগ্রগতির জন্য নানামুখী পদক্ষেপ নিতে হবে। নারী নির্যাতন ও বাল্যবিবাহ বন্ধ করে নারীর শিক্ষা গ্রহণের পথকে সুগম করে দিতে হবে। বয়স্ক নারীদের জন্য শিক্ষার ব্যবস্থা করার পাশাপাশি শিক্ষাব্যবস্থা অবৈতনিক করতে হবে। বিনামূল্যে শিক্ষা উপকরণ সরবরাহ করে দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত নারীদের সহায়তা করতে হবে, ব্যবস্থা করতে হবে উপবৃত্তির। শুধু তাই নয়, নারীদের মানসিক জগতের নানা বিষয়-বৈচিত্র্যকে প্রাধান্য দিয়ে তৈরি করতে হবে শিক্ষা ব্যবস্থা। সর্বোপরি, নারীশিক্ষার ব্যাপক অগ্রগতি সাধনের লক্ষ্যে সরকারকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।
Bengali
ben
original-annotations
98f0ae710378a0b5fe50df07cffcbde326a4d98f4f490c424be43b7f68f78f2d
পেঁয়াজ ভাজার পদ্ধতি ব্যাখ্যা কর
জল দিয়ে পেঁয়াজ পরিষ্কার করুন, তাদের উপর কোন ময়লা মুছে ফেলুন। একটি ফ্রাইং প্যানে তেল যোগ করুন এবং এটি গরম করুন। পেঁয়াজের খোসা ছাড়িয়ে নিন। ছোট ছোট টুকরো করে কেটে নিন। কাটা টুকরোগুলো আবার পানি দিয়ে পরিষ্কার করুন। ফ্রাইং প্যানে মশলা এবং পেঁয়াজ যোগ করুন এবং পেঁয়াজ সোনালি বাদামী হওয়া পর্যন্ত ভাজুন। লবণ যোগ করুন এবং পরিবেশন করুন।
Bengali
ben
original-annotations
50e6c1c0b3b80bf3489010ce91c9799fd9ba2052bf2a3be39592fb970cf39916
ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব কে তৈরি করেছেন?
ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব তৈরি করেছেন ইংরেজ পদার্থবিদ টিম বার্নার্স-লি। তিনি ১৯৮৯ সালে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় সার্নে কর্মরত অবস্থায় ওয়েবের মূল ধারণাটি প্রস্তাব করেন। পরবর্তীতে তিনি ওয়েবের প্রযুক্তিগত দিকগুলি বিকাশ করেন এবং ১৯৯১ সালে প্রথম ওয়েব ব্রাউজার প্রকাশ করেন। টিম বার্নার্স-লিকে ওয়েবের জনক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তিনি ওয়েবের জন্য এইচটিটিপি, এইচটিএমএল এবং ইউআরএলসহ বেশ কয়েকটি মূল প্রযুক্তি তৈরি করেন। ওয়েবের উদ্ভাবন বিশ্বকে তথ্যের সাথে সংযুক্ত করার এবং যোগাযোগের একটি নতুন উপায় তৈরি করেছে। ওয়েবের গুরুত্ব অপরিসীম। এটি বিশ্বকে একটি বিশ্বব্যাপী গ্রামে পরিণত করেছে, যেখানে মানুষ যেকোনো জায়গা থেকে যেকোনো তথ্য অ্যাক্সেস এবং শেয়ার করতে পারে। ওয়েব শিক্ষা, ব্যবসা, গবেষণা এবং বিনোদনের জন্য একটি অপরিহার্য হাতিয়ার হয়ে উঠেছে। টিম বার্নার্স-লি তার কাজের জন্য বেশ কয়েকটি পুরস্কার পেয়েছেন, যার মধ্যে রয়েছে ২০০৪ সালের রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের কাছ থেকে নাইটহুড।
Bengali
ben
re-annotations
98f0ae710378a0b5fe50df07cffcbde326a4d98f4f490c424be43b7f68f78f2d
মুক্তিযুদ্ধে নারীদের ভূমিকা ছিল গৌরবোজ্জ্বল— ব্যাখ্যা কর।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে নারীদের ভূমিকা ছিল গৌরবোজ্জ্বল। ১৯৭১ সালের মার্চ মাসের শুরু থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যেসব সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয়, নারীরা তাতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন। কিছুসংখ্যক নারী অস্ত্রচালনা এবং গেরিলা প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। এ ছাড়া মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্রয়দান, যুদ্ধ সংক্রান্ত তথ্য সরবরাহ এবং আহতদের সেবা-শুশ্রষা করে নারীরা মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
Bengali
ben
original-annotations
98f0ae710378a0b5fe50df07cffcbde326a4d98f4f490c424be43b7f68f78f2d
এই অনুচ্ছেদের বিষয় কি ? শিপিং কর্পোরেশনটি বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঠিক পরে ১৯৭২ সালের ৫ ই ফেব্রুয়ারি দশ নম্বর রাষ্ট্রপতি আদেশের অধীনে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এটি ১৯৭৪ সালে তার প্রথম জাহাজটি কিনেছিল। জাহাজটির নামকরণ হয়েছিল "বাংলার দূত" (বাংলার রাষ্ট্রদূত)। ২০০১ হিসাবে, কর্পোরেশনটির ১৩ টি জাহাজের মালিকানা ছিল, যার মধ্যে দুটি তেলের ট্যাঙ্কার।
এই অনুচ্ছেদের বিষয় বাংলাদেশের স্বাধীনতা |
Bengali
ben
re-annotations
50e6c1c0b3b80bf3489010ce91c9799fd9ba2052bf2a3be39592fb970cf39916
টসে জিতে ব্যাটিং এর সিদ্ধান্ত বাংলাদেশ দলের ২০০৬ সালের পর টেস্টে প্রথমবারের মতো মুখোমুখি হচ্ছে দেশ দুটি। বাংলাদেশের হয়ে দুই বছর পর সাদা পোশাকে মাঠে নামছেন নাসির হোসেন। তবে একাদশে জায়গা হয়নি মুমিনুল হকের।তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসান নামছেন নিজেদের ৫০তম টেস্ট খেলতে। বাংলাদেশ দলে রয়েছেন তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, ইমরুল কায়েস, মুশফিকুর রহিম (অধিনায়ক), সাকিব আল হাসান, সাব্বির রহমান, নাসির হোসেন, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, শফিউল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান। আর অস্ট্রেলিয়া দলে রয়েছেন ডেভিড ওয়ার্নার, ম্যাট রেনশ, স্টিভেন স্মিথ (অধিনায়ক), উসমান খাজা, পিটার হ্যান্ডসকম্ব, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, ম্যাথু ওয়েড, অ্যাশটন অ্যাগার, প্যাট কামিন্স, জশ হ্যাজলউড, নাথান লায়ন। আরো পড়ুন: রোহিঙ্গাদের আবার বাংলাদেশে ঢোকার চেষ্টা টেক্সাসে প্রবল বন্যার আশঙ্কা,সরানো হচ্ছে বন্দীদের ফরাসী প্রেসিডেন্টের মেক-আপ খরচ ২৬ হাজার ইউরো এই অনুচ্ছেদের জন্য একটি শিরোনাম প্রস্তাব করুন |
টসে জিতে ব্যাটিং এর সিদ্ধান্ত বাংলাদেশ দলের
Bengali
ben
re-annotations
50e6c1c0b3b80bf3489010ce91c9799fd9ba2052bf2a3be39592fb970cf39916
নিম্নলিখিত শিরোনাম উপর ভিত্তি করে একটি নিবন্ধ লিখুন পাতি ময়নার ডিম ফুটে বাচ্চা বের হতে সর্বোচ্চ কতদিন সময় লাগে ?
হাঁস-মুরগির মতো যে কোনো মর্দা কবুতর মাদী কবুতরের সাথে সহজে জোড়া বাঁধে না। এদেরকে এক সাথে এক সপ্তাহ রাখলে জোড়া বাঁধে। মুরগীর ন্যায় কবুতরের জননতন্ত্রে ডিম উৎপন্ন হয়। তবে ডিম্বাশয়ে একসাথে সাধারণত মাত্র দু'টি ফলিকুল তৈরি হয়। এ কারণে প্রতিটি মাদী কবুতর দু'টি ডিম পাড়ে। ডিম পাড়ার ৪০-৪৪ ঘন্টা পূর্বে ডিম্ব স্খলন হয় এবং ডিম পাড়ার কমপক্ষে ২৪ ঘন্টা পূর্বে তা নিষিক্ত হয়। অর্থাৎ যে ১৬-২০ ঘন্টা পর্যন্ত ডিম ডিম্বনালীতে থাকে সে সময়ে তা নিষিক্ত হয়ে থাকে। ডিম পাড়ার পর থেকে মর্দা ও মাদী উভয় কবুতর পর্যায়ক্রমে ডিমে তা দিতে শুরু করে। মাদী কবুতর প্রায় বিকেল থেকে শুরু করে পরের দিন সকাল পর্যন্ত ডিমে তা দেয় এবং বাকী সময়টুকু অর্থাৎ সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত মর্দা কবুতর তা দিয়ে থাকে। তা দেয়ার পঞ্চম দিনেই ডিম পরীক্ষা করে উর্বর বা অনুর্বর ডিম চেনা যায়। বাতির সামনে ধরলে উর্বর ডিমের ভিতর রক্তনালী দেখা যায়। কিন্তু অনুর্বর ডিমের ক্ষেত্রে ডিমের ভিতর স্বচ্ছ দেখাবে। সাধারণত ডিম পাড়ার ১৭-১৮ দিন পর ডিম ফুটে বাচ্চা বের হয়। এভাবে একটি মাদী কবুতর সাধারণত ১২ মাসে ১০-১২ জোড়া বাচ্চা উৎপাদন করতে পারে। জন্মের প্রথম দিন থেকে ২৬ দিন বয়স পর্যন্ত কবুতরের বাচ্চার ক্রমবর্ধমান অবস্থা থাকে। প্রথমে সারা দেহ হলুদ পাতলা বর্ণের লোম দ্বারা আবৃত থাকে। এই সময় নাক ও কানের ছিদ্র বেশ বড় দেখায়। প্রায় ৪-৫ দিন পর বাচ্চার চোখ খোলে বা ফুটে। পনের দিনে সমস্ত শরীর পালকে ছেয়ে যায়। প্রায় ১৯-২০ দিনে দু'টো ডানা এবং লেজ পূর্ণতা লাভ করে ও ঠোঁট স্বাভাবিক হয়। এই ভাবে ২৬-২৮ দিনে কবুতরের বাচ্চা পূর্ণতা লাভ করে। কবুতর সাধারণত ২০-৩০ বছর পর্যন্ত বাঁচে। জঙ্গলী কবুতর ৫ বছর এবং গৃহপালিত কবুতর ১০-১৫ বছর বাঁচে। ৫-৬ মাস বয়স হলে স্ত্রী কবুতর ডিম দেয়। গড়ে প্রতি মাসে এক বার ডিম দেয়। বাচ্চা ২৫/২৬ দিন বয়স হলে খাবার উপযুক্ত হয়। এ সময় বাচ্চা সরিয়ে ফেললে মা কবুতর নতুন করে ডিম দিতে প্রস্তুতি গ্রহণ করে।
Bengali
ben
re-annotations
50e6c1c0b3b80bf3489010ce91c9799fd9ba2052bf2a3be39592fb970cf39916
বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভের পরে দ্বিতীয় বিপ্লব বলতে কী বোঝায়?
যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের পুনর্গঠন ও শোষণহীন সমাজ গঠনের লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দ্বিতীয় বিপ্লব কর্মসূচি গ্রহণ করেছিলেন। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে দেশের অভ্যন্তরে মজুতদার, দুর্নীতিবাজ ও ষড়যন্ত্রকারী গোষ্ঠীর অপতৎপরতা এবং ১৯৭৩-৭৪ সালের বন্যা দেশের খাদ্য সংকটকে তীব্র করে তোলে। এ পরিস্থিতিতে বঙ্গবন্ধু সরকার ১৯৭৫ সালে জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তি ও শোষণহীন সমাজ গঠনের লক্ষ্যে আওয়ামী লীগ, ন্যাপ, কমিউনিস্ট পার্টিসহ বিভিন্ন দল নিয়ে বাংলাদেশ কৃষক-শ্রমিক আওয়ামী লীগ (বাকশাল) গঠন করেন। এর মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু দেশের আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে নতুন একটি ব্যবস্থা প্রবর্তনের উদ্যোগ নেন। এটিকে তিনি দ্বিতীয় বিপ্লব নামে অভিহিত করেন।
Bengali
ben
original-annotations
98f0ae710378a0b5fe50df07cffcbde326a4d98f4f490c424be43b7f68f78f2d
আর্সেনিক সমস্যা শিরোনামে ১টি অনুচ্ছেদ লিখুন।
বর্তমান সময়ে বাংলাদেশে আর্সেনিক একটি মারাত্মক সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে। আর্সেনিক মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর এক ধরনের পদার্থ । এর কোনো রং, গন্ধ ও স্বাদ নেই। বাংলাদেশের মানদণ্ড অনুযায়ী পানীয় জলে আর্সেনিক মাত্রা প্রতি লিটারে ৫০ মাইক্রো গ্রামের কম হলে সেটি নিরাপদ, যদিও বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থার মতে, এটি ১০ মাইক্রো গ্রামের কম হতে হবে। আমাদের দেশের বেশিরভাগ এলাকার টিউবওয়েলের পানিতে আর্সেনিক ধরা পড়েছে। আর্সেনিকযুক্ত পানি পান করে বিভিন্ন এলাকার মানুষ আর্সেনিকজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে আর্সেনিকে আক্রান্ত রোগীর গায়ে (যেমন— বুকে, পিঠে, পেটে) কালো দাগ দেখা যায়। এর প্রভাবে চামড়ার রং কালো হয়ে যায় বা ছোট ছোট কালো দাগ হয়। হাত ও পায়ের তালুতে ছোট ছোট শক্ত গুটি দেখা দেয়। এছাড়া এ রোগে বমি বমি ভাব, পাতলা পায়খানা, খাওয়া- দাওয়ায় অরুচি, মুখে ঘা ইত্যাদি লক্ষণও দেখা দেয়। তবে মানুষের শরীরে আর্সেনিকের লক্ষণ প্রকাশ পেতে ৬ মাস থেকে ২০ বছর বা কোনো কোনো ক্ষেত্রে এর চেয়েও বেশি সময় লাগে। এ লক্ষণগুলো তিনটি পর্যায়ে দেখা দেয়। ধীরে ধীরে দেশজুড়ে এ রোগটি মারাত্মক আকার নিচ্ছে। তাই আর্সেনিক আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত। অনেকে এ রোগে ধুঁকে ধুঁকে জীবন কাটাচ্ছে। আর্সেনিকের ফলে মানুষের কিডনি, লিভার ও ফুসফুস বড়ো হয়ে যায়। ক্ষেত্রবিশেষে টিউমারও হতে পারে। এছাড়া এ রোগে চামড়া, মূত্রথলি ও ফুসফুসে ক্যান্সার হতে পারে। আর্সেনিক সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে হলে অবশ্যই আর্সেনিক মুক্ত পানি পান করতে হবে। এ ক্ষেত্রে নদী, পুকুর, বিল ইত্যাদির পানি ছেঁকে নিয়ে ২০ মিনিট ফুটিয়ে পান করা যায়। এছাড়া বৃষ্টির পানি ব্যবহার করলেও আর্সেনিকের বিরূপ প্রভাব থেকে থেকে বাঁচা যায়। এজন্য নলকূপ স্থাপনের পূর্বে মাটির নিচে আর্সেনিকের মাত্রা পরীক্ষা করা দরকার। তাছাড়া পুরোনো নলকূপের পানিতে আর্সেনিক আছে কিনা তাও পরীক্ষা করে দেখতে হবে। টিউবওয়েলের পানিতে আর্সেনিক পাওয়া গেলে টিউবওয়েলের মুখে লাল রং করতে হবে। লাল রং চিহ্নিত এসব নলকূপের পানি খাওয়া যাবে না। আর্সেনিকযুক্ত পানি ফুটিয়ে খাওয়া থেকেও বিরত থাকতে হবে। কেননা ফুটালে আর্সেনিক দূর হয় না বরং পানি শুকিয়ে গেলে তাতে আর্সেনিকের ঘনত্ব আরো বেড়ে যায়।
Bengali
ben
original-annotations
98f0ae710378a0b5fe50df07cffcbde326a4d98f4f490c424be43b7f68f78f2d
পেঁয়াজ কাটলে চোখে পানি আসে কেন?
পেঁয়াজে বিদ্যমান অ্যামিনো এসিডের সালফোক্সাইড যৌগ পেঁয়াজ কাটার সময় পেঁয়াজ থেকে নিঃসৃত অ্যালিনেজ নামক এনজাইম দ্বারা উদ্বায়ী সালফেনিক এসিড তৈরি করে। আর এটা চোখের পানির সাথে বিক্রিয়া করে মৃদু সালফিউরিক এসিড উৎপন্ন করে, যার প্রভাবে চোখে পানি আসে ।
Bengali
ben
original-annotations
98f0ae710378a0b5fe50df07cffcbde326a4d98f4f490c424be43b7f68f78f2d
অনুচ্ছেদটি পড় এবং প্রশ্নের উত্তর দাও। শিক্ষার্থীরা তাদের আসন্ন পরীক্ষার জন্য আন্তরিকভাবে অনুশীলন করছিল। স্কুলের পর তারা আর ক্রিকেট খেলতে যায়নি। তার পরিবর্তে তারা শেখানো বিষয়গুলি সংশোধন করছিল এবং গাণিতিক সমস্যাগুলির অনুশীলন করেছিল। পদার্থবিদ্যা একটি কঠিন বিষয় এবং সবাই এতে ভালো নম্বর পেতে চাইছিল। প্রশ্ন: কোন বিষয়ে উপরের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে?
অনুচ্ছেদে পদার্থবিজ্ঞান পরীক্ষার উল্লেখ করা হয়েছে।
Bengali
ben
re-annotations
98f0ae710378a0b5fe50df07cffcbde326a4d98f4f490c424be43b7f68f78f2d
স্বামী বিবেকানন্দের শিকাগো মহাসম্মোলন সম্পর্কে সংক্ষেপে লেখো
১৮৯৩ সালের সেপ্টেম্বরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরে বিশ্ব ধর্ম মহাসম্মলন অনুষ্ঠিত হয়। এই সম্মেলনে বিশ্বের বিভিন্ন ধর্মের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন। স্বামী বিবেকানন্দ এই সম্মেলনের ভারতীয় প্রতিনিধিদের মধ্যে একজন ছিলেন। স্বামী বিবেকানন্দের ভাষণ এই সম্মেলনের অন্যতম আলোচিত ঘটনা। তাঁর ভাষণে তিনি ভারতীয় হিন্দুধর্মের মর্মকথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, হিন্দুধর্ম সকল ধর্মের সমন্বয়ের ধর্ম। তিনি সকল ধর্মের মধ্যে মিল খুঁজে পেতে ও সকল ধর্মের মধ্যে সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানান। স্বামী বিবেকানন্দের ভাষণ বিশ্ববাসীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে। তাঁর ভাষণের ফলে ভারতীয় হিন্দুধর্মের ওপর বিশ্ববাসীর ধারণা পরিবর্তিত হয়। স্বামী বিবেকানন্দকে এই সম্মেলনের "সূর্য সন্তান" বলে অভিহিত করা হয়। স্বামী বিবেকানন্দের ভাষণের গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলি নিম্নরূপ: ১ তিনি ভারতীয় হিন্দুধর্মের মর্মকথা তুলে ধরেন। ২ তিনি সকল ধর্মের সমন্বয়ের ধর্ম হিসেবে হিন্দুধর্মের ভূমিকা তুলে ধরেন। ৩ তিনি সকল ধর্মের মধ্যে মিল খুঁজে পেতে ও সকল ধর্মের মধ্যে সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানান। স্বামী বিবেকানন্দের শিকাগো মহাসম্মলন ভাষণ ভারতীয় হিন্দুধর্মের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। এই ভাষণের ফলে ভারতীয় হিন্দুধর্ম বিশ্ববাসীর কাছে পরিচিতি লাভ করে।
Bengali
ben
original-annotations
5f3397f86a04bd591aaa77ca39eb85f0ac496637fe5770a290252b66359205ad
অলোকা প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠতে দেরি করে। তবে আজ সে ভোরে ঘুম থেকে উঠেছে। কী কারণে অলোকা আজ ভোরে ঘুম থেকে উঠেছে?
ঠিক কী কারণে অলোকা আজ ভোরে ঘুম থেকে উঠেছে তা প্রদত্ত তথ্যের ভিত্তিতে নিশ্চিতভাবে বলা সম্ভব হয়। ভোরে ঘুম থেকে ওঠার অনেক কারণ হতে পারে। নিচে এমন কিছু সম্ভাব্য কারণ দেওয়া হলো: ১. অলোকা তার অভ্যাস পরিবর্তন করেছে। সে হয়তো সকাল সকাল ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস করছে। তাই আজ সে ভোরে ঘুম থেকে উঠেছে। ২. ভোরে তার ঘুম ভেঙে গেছে। হয়তো ঘুম ভেঙে যাওয়ার পরে তার আর ঘুম আসেনি, তাই সে ভোরেই বিছানা থেকে উঠে পড়েছে। ৩. আজ তার ভোরে ঘুম থেকে ওঠার দরকার ছিল। প্রতিদিন হয়তো তার ভোরে ঘুম থেকে ওঠার দরকার হয় না। তবে আজ হয়তো তার ভোরে ঘুম থেকে ওঠার দরকার ছিল। অবশেষে বলা যায়, অলোকা কেন আজ ভোরে ঘুম থেকে উঠেছে তা নিশ্চিতভাবে বলা সম্ভব হয়। অলোকাকে সরাসরি ভোরে ওঠার কারণ জিজ্ঞেস করে সঠিক উত্তর পাওয়া যেতে পারে।
Bengali
ben
original-annotations
98f0ae710378a0b5fe50df07cffcbde326a4d98f4f490c424be43b7f68f78f2d
জাতীয়তাবাদ কী? ব্যাখ্যা করো।
ভাষা, ইতিহাস-ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও জাতিগত পরিচয়ের ভিত্তিতে যে ঐক্য গড়ে ওঠে তাই জাতীয়তাবাদ। ভৌগোলিক, ভাষাগত, বংশগত, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যগত, ধর্মীয় ইত্যাদি সম-আকাঙ্ক্ষা সম্পন্ন ঐক্যের দ্বারা আবদ্ধ জনসমাজের মধ্যে গভীর একাত্ববোধ জাতীয়তাবোধের সৃষ্টি করে। জাতীয়তাবোধের সঙ্গে স্বদেশপ্রেম যুক্ত হলে গড়ে ওঠে জাতীয়তাবাদ। উদাহরণ হিসেবে আমরা বাঙালি জাতীয়তাবাদের কথা বলতে পারি। বাংলা ভাষা, ইতিহাস-ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও বাঙালির জাতিগত পরিচয়ে জাতীয় ঐক্য গড়ে ওঠে। এ ঐক্যই বাঙালি জাতীয়তাবাদ।
Bengali
ben
original-annotations
98f0ae710378a0b5fe50df07cffcbde326a4d98f4f490c424be43b7f68f78f2d
নিচের অনুচ্ছেদের বিষয় কি? বাংলাদেশের মাটিতে ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দ থেকে একাধিক ধর্মনিরপেক্ষ নিরীশ্বরবাদী(নাস্তিক) লেখক, ব্লগার ও প্রকাশক সন্ত্রাসবাদীদের হাতে নিহত বা গুরুতর আহত হয়েছেন। এই আক্রমণের ঘটনাগুলির সম্ভাব্য কারণ হল সমসাময়িক বাংলাদেশে চলমান এক দ্বন্দ্ব। এর এক দিকে আছেন ধর্মনিরপেক্ষ জনসমাজ, যাঁরা বাংলাদেশের ধর্মনিরপেক্ষতার ঐতিহ্য বজায় রাখতে চান, ও অন্যদিকে আছেন ইসলামবাদী জনসমাজ যাঁরা বাংলাদেশকে ইসলামী রাষ্ট্র হিসেবে দেখতে চান। যুদ্ধাপরাধ ট্রাইবুনাল-এর বিচারকাজগুলি, যেগুলিতে সাম্প্রতিক অতীতের বিরোধী দল জামায়াতে ইসলামীর অনেক নেতাকে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের রক্তক্ষয়ী স্বাধীনতা যুদ্ধে সংঘটিত অপরাধের কারণে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে, সেগুলিও এই দ্বন্দ্বের তীব্রতা বৃদ্ধি করেছে।
স্বাধীনতা যুদ্ধ |
Bengali
ben
re-annotations
50e6c1c0b3b80bf3489010ce91c9799fd9ba2052bf2a3be39592fb970cf39916
নিচের অনুচ্ছেদের বিষয় কি? তবে, দ্রুত স্বীকৃতি পাননি তিনি। ২০০৭ সালের পূর্ব-পর্যন্ত শ্রীলঙ্কার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণের সুযোগ ঘটেনি তার। নিউজিল্যান্ড গমনে তাকে উপেক্ষা করা হয়। তবে, শ্রীলঙ্কা এ দলের প্রধান রান সংগ্রাহক ছিলেন তিনি। ক্যারিবীয় সফরে তিনি অসুস্থতার কারণে নিজের সেরা খেলা উপস্থাপন করতে পারেননি। তবে, এর পরপরই স্বদেশে সফরকারী বাংলাদেশ এ দলের বিপক্ষে সুন্দর খেলা উপস্থাপন করেছিলেন। ২০০৭ সালে বাংলাদেশ এ ক্রিকেট দলের বিপক্ষে শ্রীলঙ্কা এ দলের সদস্যরূপে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ২৪২ রানের ইনিংস খেলেছিলেন। ১৯৯৮ সালের কমনওয়েলথ গেমসে শ্রীলঙ্কার প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন তিনি।
ক্রিকেটে অংশগ্রহণের সুযোগ |
Bengali
ben
re-annotations
50e6c1c0b3b80bf3489010ce91c9799fd9ba2052bf2a3be39592fb970cf39916