author
stringlengths
2
242
category
stringclasses
9 values
category_bn
stringclasses
16 values
published_date
stringlengths
2
68
modification_date
stringlengths
2
68
tag
stringlengths
0
137
comment_count
float64
0
0
title
stringlengths
1
215
url
stringlengths
47
56
content
stringlengths
0
57.9k
__index_level_0__
int64
0
408k
-1
international
আন্তর্জাতিক
০১ আগস্ট ২০১৫, ০০:৫৯
০১ আগস্ট ২০১৫, ০১:০০
পাকিস্তান
0
রাজনাথ সিংয়ের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান পাকিস্তানের
http://www.prothom-alo.com/international/article/590065
ভারতের পাঞ্জাবে গত সপ্তাহের সন্ত্রাসী হামলায় জড়িত ব্যক্তিরা পাকিস্তান থেকে এসেছিল বলে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করেছে পাকিস্তান। রাজনাথ সিং বৃহস্পতিবার পার্লামেন্টে বলেন, সন্ত্রাসীদের কাছে পাওয়া জিপিএস যন্ত্রের তথ্য ইঙ্গিত দিচ্ছে তারা পাকিস্তান থেকে এসেছিল। খবর ডন ও টাইমস অব ইন্ডিয়ার।পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র কাজি খলিলুল্লাহ পাঞ্জাবের গুরুদাসপুরে গত সোমবারের হামলা বিষয়ে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যকে ‘অপ্রমাণিত ও অনায্য’ আখ্যা দেন। তিনি বলেন, তদন্ত শেষ হওয়ার আগে এ ধরনের ইঙ্গিতপূর্ণ বক্তব্য ‘সুস্থতার পরিচায়ক নয়’।কাজি খলিলুল্লাহ বলেন, ‘পাকিস্তান রাজনাথ সিংয়ের ওই ভিত্তিহীন অভিযোগ স্পষ্টভাবে প্রত্যাখ্যান করছে। তাঁর ওই উসকানিমূলক মন্তব্যকে আঞ্চলিক শান্তির জন্য হুমকি মনে করে পাকিস্তান। আমরা উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করেছি, ভারতে যেকোনো সন্ত্রাসী হামলা হলেই সে জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করার অব্যাহত প্রবণতা রয়েছে।’মুখপাত্র কাজি খলিলুল্লাহ আরও বলেন, তাঁর দেশ সব ধরনের সন্ত্রাসবাদের নিন্দা জানায়। সন্ত্রাসবাদ ভারত ও পাকিস্তানের অভিন্ন শত্রু। এটিকে মোকাবিলার জন্য সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টা প্রয়োজন।
156,657
-1
opinion
মতামত
০৬ এপ্রিল ২০১৮, ১১:২৭
০৬ এপ্রিল ২০১৮, ১১:৪৮
সম্পাদকীয়:
0
দোষীদের ওপর কঠোর অবরোধই চাবিকাঠি
http://www.prothom-alo.com/opinion/article/1464471
এ বিষয়ে আর কোনো সন্দেহ থাকা উচিত নয় যে মিয়ানমারের ওপর নতুন করে অবরোধ জারি করা ছাড়া রোহিঙ্গাসংক্রান্ত দাবি আদায়ের আর কোনো পথই খোলা নেই। চলমান দ্বিপক্ষীয় কিংবা ত্রিপক্ষীয় আলোচনা চলুক তাতে ক্ষতি নেই। কিন্তু সারকথা হলো বাংলাদেশকে এখন তাদের মিত্রদের নিয়ে জোরেশোরে মুখ খুলতে হবে। গোটা বিশ্ব ঐক্যবদ্ধ হলে কার্যত সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রিত মিয়ানমার সরকার তার পোড়ামাটি নীতি পরিহারে বাধ্য হবে। তাদের তরফে আর কোনো ধরনের মৌখিক আশ্বাস বা দ্বিপক্ষীয় চুক্তির মতো বিষয়ের আলোকে রোহিঙ্গা সংকট নিরসন যে সম্ভব নয়, বিশ্বকে সে বিষয়ে একমত হতে হবে।আন্তর্জাতিক চাপের মুখে মিয়ানমার অবশেষে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রতিনিধিদলকে মিয়ানমার পরিদর্শন করতে দিতে রাজি হয়েছে। অনেক দিনের বিরতিতে এটি একটি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি। চলতি সপ্তাহে আরও একটি মাইলফলক অগ্রগতি হলো কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর বিশেষ দূতের প্রতিবেদন দাখিল করা। এই প্রতিবেদনটির বিষয়বস্তু এবং সে বিষয়ে খোদ প্রধানমন্ত্রী ট্রুডোর যে ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ পেয়েছে, তাতে আমরা মনে করি, এটি কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারে।অন্টারিওর মুখ্যমন্ত্রী বব রাই তঁার ওই প্রতিবেদনে দুটি গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ করেছেন। প্রথমত কানাডার উচিত হবে মানবিক কারণে রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুদের বাংলাদেশ ও মিয়ানমার উভয় দেশ থেকে গ্রহণ করা। শুধু গ্রহণ করাই নয়, কানাডার উচিত হবে তার মিত্রদেরও একই অবস্থান নিতে উৎসাহিত করা। দ্বিতীয়ত মিয়ানমারকে এটা বুঝিয়ে দিতে হবে যে তারা কাজটি ঠিক করেনি। অন্যথায় বব রাইয়ের কথায়, আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে। আমরা মনে করি, তঁার এই দৃষ্টিভঙ্গিতে বিশ্বমানবতা এবং মানবতাকে যারা বিপন্ন করেছে তাদের জবাবদিহির আওতায় আনার সর্বজনীন অভিপ্রায়ের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে।আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় মিয়ানমারের গণতন্ত্র ও মানবাধিকার অনুশীলনের পথ সুগম করে দিতে দীর্ঘ অবরোধের নিগড় শিথিল করেছিল। কিন্তু আজ সময় এসেছে, আনুষ্ঠানিকভাবে এটাও খতিয়ে দেখার যে তারা সেসব ক্ষেত্রে কী অগ্রগতি নিশ্চিত করতে পেরেছে। প্রধানমন্ত্রীর পররাষ্ট্রবিষয়ক বিশেষ দূত গওহর রিজভী ঢাকায় এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে ৩ এপ্রিল বলেছেন, অবরোধ তুলে নেওয়ার পরও মিয়ানমার বিশ্বকে গণহত্যা উপহার দিয়েছে। সুতরাং পুনরায় অবরোধ আরোপের বিকল্প বিশ্বকে ভাবতে হবে।মিয়ানমারের মন্ত্রী বাংলাদেশে আসছেন, তাঁকে স্বাগত। কিন্তু তঁাদের বুঝতে হবে যে এ ধরনের কঠোর অবস্থান নেওয়া ছাড়া বাংলাদেশের আর পথ নেই। মিয়ানমারের শান্তিপ্রিয় জনগণের সঙ্গে বাংলাদেশের জনগণের কোনো বৈরিতা নেই। অবরোধের কারণে তারা কষ্টে থাকুক, সেটাও আমাদের প্রত্যাশা নয়। কিন্তু রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে কার্যকর উদ্যোগ না নিলে নির্দিষ্ট অবরোধ আরোপ করে তা করতে বাধ্য করার পথ ধরতে হবে।বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে এটা পরিষ্কার করতে হবে যে শুধু রোহিঙ্গা সংকটের আলোকেই আমরা মিয়ানমারের ওপর অবরোধ আশা করি না। আন্তর্জাতিক গোষ্ঠী অতীতে দেশটির ওপর যখন অবরোধ জারি রেখেছিল, তখন রোহিঙ্গাদের কোনো বিষয় ছিল না। গণতন্ত্র ও মানবাধিকারে উত্তরণের প্রশ্নই ছিল মুখ্য। সুতরাং নিরাপত্তা পরিষদের প্রতিনিধিদলের তদন্তের আওতায় রোহিঙ্গা সংকটের পাশাপাশি সেখানকার গণতন্ত্র ও মানবাধিকার পরিস্থিতিও বিবেচনায় নেওয়া উচিত।আমরা বিশ্বাস করি, শুধু রোহিঙ্গা সংকটকে আলাদা করে যদি দেশটির অন্যান্য জাতিগত সংখ্যালঘুদের ওপর তারা কী ধরনের গণতন্ত্র ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করেছে সেটা খতিয়ে দেখা হয়, তাহলে দেশটির ওপর সেই কারণেও নতুন করে কঠোরভাবে অবরোধ আরোপ করাটা অপরিহার্য হয়ে পড়বে।
360,192
বদরগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
০৭ এপ্রিল ২০১৬, ০১:২৯
০৭ এপ্রিল ২০১৬, ০১:৩০
বিশাল বাংলা
0
কর্মশালা
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/822454
রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলাকে বাল্যবিবাহমুক্ত করার প্রত্যয়ে গত মঙ্গলবার দিনব্যাপী কর্মশালা হয়েছে। উপজেলা মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের আয়োজনে গত মঙ্গলবার উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে ওই কর্মশালা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলে রাব্বী। এতে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা মহিলা ভাইস রুবিনা আক্তার। বক্তব্য দেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সাইদুল ইসলাম, উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা মৌসুমী আখতার, বদরগঞ্জ পৌরসভার প্যানেল মেয়র ফেরদৌসী বেগম, বদরগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি আবদুর রউফ সরকার, বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাকের এলাকা কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক এনামুল হক, লালবাড়ি উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হেলাল হোসেন, উপজেলা নিকাহ্ নিবন্ধক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবদুল মাবুদ, সাংবাদিক রুহুল আমিন সরকার প্রমুখ।
218,018
মনজুর কাদের
entertainment
বিনোদন
১৯ মার্চ ২০১৫, ০০:০৭
১৯ মার্চ ২০১৫, ০১:৩৫
আনন্দ,আলাপন
0
‘ক্যামেরা বন্ধু হয়ে গেছে’
http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/480763
পরীমনি। ঢাকাই ছবির নবাগত অভিনয়শিল্পী। ২৭ ফেব্রুয়ারি মুক্তি পেয়েছে তাঁর প্রথম ছবি। নাম ভালোবাসা সীমাহীন। কিন্তু তাঁকে নিয়ে আলোচনার শেষ নেই। প্রথম চলচ্চিত্রের শুটিং করেন ২০১৩ সালের ডিসেম্বর মাসে। এরই মধ্যে অনেকগুলো ছবি হাতে পেয়েছেন। শুটিং করছেন বিভিন্ন ছবির। ১৫ মার্চ সন্ধ্যায় কথা হলো নবাগত এই অভিনয়শিল্পীর সঙ্গে।চলচ্চিত্রে কীভাবে অভিনয়ের সুযোগ পেলেন?২০১৩ সালে প্রথম টিভি নাটকে অভিনয় করি। নাম সেকেন্ড ইনিংস। নাটকটি প্রচারিত হওয়ার পর চলচ্চিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাব পাই।এ পর্যন্ত কয়টি চলচ্চিত্রে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন?১৮টি ছবির শুটিং করেছি। চুক্তি হয়েছে আরও ১২টি ছবির নির্মাতাদের সঙ্গে। সব মিলিয়ে আমার ছবির সংখ্যা ৩০।প্রথম কবে ক্যামেরার সামনে দাঁড়ালেন?২০১৩ সালের ডিসেম্বর মাসে। সেই থেকে শুরু। এই অল্প সময়ে ৩০টি ছবির কাজ করছি। ভাবতেই অন্য রকম লাগে। পুরো ব্যাপারটি সত্যিই স্বপ্নের মতো। শুরুতে ক্যামেরাকে খুব ভয় পেতাম। এখন তো ক্যামেরা বন্ধু হয়ে গেছে।একসঙ্গে এতগুলো ছবি। কাজের মান কেমন হচ্ছে?আমি কিন্তু শুরু থেকে মন দিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। প্রতিটি ছবির জন্য যতটুকু সময় দরকার, পুরোটাই দিয়েছি। কোনো ফাঁকি দিইনি। তাই কাজগুলোর মানের ব্যাপারে প্রশ্ন কেন উঠবে?ছবি নির্বাচনের সময় কোন বিষয়গুলো গুরুত্ব দেন?অবশ্যই ভালো গল্প। এরপর আমার চরিত্রটি।‘ভালোবাসা সীমাহীন’ ছবি নিয়ে বলুন।এই ছবিতে প্রথম অভিনয় করেছি। আর এই ছবিটিই প্রথম মুক্তি পেয়েছে। ছবিটি নিয়ে তেমন প্রত্যাশা ছিল না। কিন্তু আমার প্রাপ্তির খাতা কানায় কানায় পূর্ণ। দর্শকদের প্রতিক্রিয়ায় আমি অবাক!প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে ছবিটি দেখেছেন?ছবিটি যখন মুক্তি পায়, তখন আমি ছিলাম বান্দরবানে। এস এ হক অলীকের আরও ভালোবাসব তোমায় ছবির শুটিং ছিল। ঢাকায় ফেরার পর মিরপুরের সনি প্রেক্ষাগৃহে ছবিটি দেখেছি। ওখানে যাওয়ার পর মনটা ভরে গিয়েছে। দেখি প্রেক্ষাগৃহের সামনে ‘হাউজফুল’ লেখা কার্ড ঝুলছে।আজ আপনি চলচ্চিত্রের নায়িকা। এমন স্বপ্ন কখনো দেখেছেন?একদম ভাবিনি। ছোটবেলা থেকে পুলিশ অফিসার হওয়ার স্বপ্ন দেখেছি।নায়িকা হওয়ার যাত্রার শুরুটা কীভাবে হলো?নাটকে কাজ করার সময় চম্পা ম্যাডামের সঙ্গে পরিচয় হয়। তিনি আমাকে চলচ্চিত্রে অভিনয় করার ব্যাপারে উৎসাহ দেন। তাঁর উৎসাহ আর অনুপ্রেরণায় আমার মধ্যেও আত্মবিশ্বাস তৈরি হয়। এরপর একদিন ভালোবাসা সীমাহীন ছবিতে অভিনয়ের সুযোগ পেয়ে যাই।অভিনয় ছাড়া আর কিছু করছেন?আমি কিন্তু নাচ আর গান করি। এই দুটোতে ছোটবেলা থেকেই তালিম নিয়েছি।চলচ্চিত্রে আপনার আদর্শ কে?সুচিত্রা সেন। বাংলাদেশে শাবানা ও শাবনূর।সুচিত্রা সেনের কোন কোন ছবি দেখেছেন?তাঁর সব ছবিই দেখেছি। একটি ছবিও বাদ দিইনি।প্রেক্ষাগৃহে প্রথম কবে ছবি দেখেছেন?তখন আমার বয়স পাঁচ কি ছয়। রাজশাহীতে বেড়াতে গিয়েছিলাম। খালামণির সঙ্গে প্রেক্ষাগৃহে ছবি দেখতে যাই। পরে শুনেছি, সেদিন আমি নাকি ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। আমার খুব মনে পড়ে হৃদয়ের কথা ছবিটি। তখন অবশ্য আমি বড় হয়েছি।পর্দায় নিজেকে প্রথম দেখার পর কেমন অনুভূতি হয়েছে?তা বলে বোঝাতে পারব না। এটা অনেক বড় পাওয়া। একদিকে হলের মানুষজন চিৎকার করছে, অন্যদিকে বিভিন্ন টিভি ক্যামেরার লাইট আমার ওপর। পুরো পরিবেশটাই অন্য রকম হয়ে গিয়েছিল। অনেক অটোগ্রাফ দিয়েছি। সেই অনুভূতি কীভাবে বর্ণনা করব? ছবি দেখার পর অনুভূতিও ঠিক তেমনটাই হয়েছে।
124,446
নিজস্ব প্রতিবেদক
bangladesh
বাংলাদেশ
০৭ জুলাই ২০১৩, ১৮:৪৪
০৭ জুলাই ২০১৩, ১৮:৪৫
মহানগর
0
তেজগাঁও কলেজে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, পুলিশের বাধা
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/20536
রাজধানীর তেজগাঁও কলেজে আজ রোববার ভাঙচুরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই কলেজের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করছে। তারা কলেজের সামনের সড়কে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় শিক্ষার্থীরাও পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়ে মারে।শেরেবাংলা নগর থানা এলাকার টহল পরিদর্শক আবুল কালাম আজাদ বলেন, আজ বেলা দুইটার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বহনকারী একটি দোতলা বাস তেজগাঁও কলেজের সামনে থামে। এরপর পুরোনো কোনো কিছুর সূত্র ধরে ওই বাসের শিক্ষার্থীরা তেজগাঁও কলেজের সামনে থাকা হানিফ পরিবহনের একটি ভ্রাম্যমাণ কাউন্টার ভাঙচুর করেন। এ সময় তেজগাঁও কলেজের কিছু শিক্ষার্থী তাঁদের বাধা দিলে উভয় পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে দোতলা বাসটি শিক্ষার্থীদের নিয়ে চলে যায়। এর কিছুক্ষণ পরে তেজগাঁও কলেজের শিক্ষার্থীরা কলেজের সামনের সড়ক দিয়ে যাওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেকটি দোতলা বাসে ভাঙচুর চালায়। এতে বাসে থাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জড়ো হয়ে তেজগাঁও কলেজে হামলা ও ভাঙচুর করেন।আবুল কালাম আজাদ জানান, দুপুর থেকেই তেজগাঁও কলেজের শিক্ষার্থীরা এ ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করছে। তারা কলেজের সামনের সড়কে গিয়ে অবরোধ করার চেষ্টা করলে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। তবে কলেজের আশপাশে এখনো শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করছে।এ ব্যাপারে তেজগাঁও ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তাত্ক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া এবং বাস কাউন্টার ভাঙচুরের কারণ জানা যায়নি।
709
বিবিসি
international
আন্তর্জাতিক
৩১ জুলাই ২০১৬, ০০:১৯
৩১ জুলাই ২০১৬, ০০:২০
লাতিন আমেরিকা
0
ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট লুলার বিচার শুরু হচ্ছে
http://www.prothom-alo.com/international/article/930487
ব্রাজিলে রাষ্ট্রীয় তেল কোম্পানি পেট্রোব্রাসের দুর্নীতির বিচারে বাধা সৃষ্টির অভিযোগে দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট লুলা ডি সিলভার বিরুদ্ধে বিচার শুরু হচ্ছে। আদালতের একটি নথি থেকে এ বিষয়টি জানা গেছে। তবে বিচার শুরুর তারিখ এখনো ঠিক হয়নি।পেট্রোব্রাসের ব্যাপক ওই দুর্নীতি-কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকার অভিযোগে এরই মধ্যে কয়েকজন প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত মার্চে লুলাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছিল। তিনিসহ সাতজনের বিরুদ্ধে ওই দুর্নীতির তদন্ত যার নাম ‘অপারেশন কার ওয়াশ’-এ বাধা সৃষ্টির অভিযোগ আনা হয়েছে।এ মামলায় গত শুক্রবার লুলার পাশাপাশি সাবেক সিনেটর ডেলসিডিও অ্যামারাল এবং ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকার অ্যান্দ্রে এস্টেভেসের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে।পেট্রোব্রাসের অর্থ পাচার ও দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে তদন্ত চলছে। ইতিমধ্যে লুলার বাড়ি তল্লাশি করেছে স্থানীয় পুলিশের একটি সংস্থা।
245,230
বিনোদন প্রতিবেদক
entertainment
বিনোদন
১০ মে ২০১৫, ০২:৩৭
১০ মে ২০১৫, ০২:৪০
বিনোদন,বাংলা গান
0
মা দিবসের গান
http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/523948
স্থপতি ও চলচ্চিত্র নির্মাতা এনামুল করিম নির্ঝরের কথা ও সুরে বের হলো মা দিবসের একটি গান। এটি গেয়েছেন তরুণ সংগীতশিল্পী মৈত্রী ইসলাম এবং সংগীতায়োজন করেছেন লিমন। ‘মা ছাড়া প্রথম’ শিরোনামের গানটি আজ মুক্তি পাচ্ছে এবিসি রেডিও, ইউটিউব ও বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে। গানটি প্রকাশ করছে মিউজিক লেবেল গানশালা। এই প্রতিষ্ঠান থেকেই এনামুল করিম নির্ঝরের ১০১টি গান নিয়ে এক নির্ঝরের গান শিরোনামের একটি অ্যালবাম প্রকাশ হওয়ার কথা রয়েছে। গানগুলোয় কণ্ঠ দেবেন দেশের স্বনামধন্য সংগীতশিল্পীরা। সেই অ্যালবামের প্রথম গানই হলো ‘মা ছাড়া প্রথম’।এর আগে নির্ঝরের লেখা ‘লুকোচুরি গল্প’ শিরোনামের গানটি বেশ আলোচিত হয়েছিল।
137,714
ক্রীড়া প্রতিবেদক
sports
খেলা
১৭ নভেম্বর ২০১৫, ০৩:০০
১৭ নভেম্বর ২০১৫, ০৩:০২
খেলা,আন্তর্জাতিক ফুটবল
null
তবু লোপেজের লক্ষ্য জয়!
http://www.prothom-alo.com/sports/article/685900
ফিফা র্যা ঙ্কিংয়ে দুই দলের ব্যবধান ১২০ ধাপ! অস্ট্রেলিয়া ৬০, বাংলাদেশ ১৮০। ইতিহাস-ঐতিহ্য, সাফল্যের বিচারে দুটি দল র্যাঙ্কিংয়ের ব্যবধানের মতোই দূরত্বে দাঁড়িয়ে। ৩ সেপ্টেম্বর পার্থে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে দুই দলের প্রথম সাক্ষাতে বাংলাদেশ উড়ে গেছে ৫-০ গোলে। চারবার বিশ্বকাপ খেলা অস্ট্রেলিয়া আজ ফিরতি ম্যাচেও চাইবে দাপুটে জয়। বিস্ময়কর শোনালেও বাংলাদেশ কোচ ফাবিও লোপেজের লক্ষ্যও জয়! অবশ্য ফুটবল মাঠে গড়ানোর আগেই নায়কের আসনে বসে গেছে ‘কঠোর নিরাপত্তা’। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে আজ বিকেল সাড়ে ৫টায় শুরু খেলাটাই নাহয় সবার মন রাঙিয়ে দিক‘আপনার অধিনায়ক কই?’সংবাদ সম্মেলনটা শুরুই হলো ঝাঁজালো এই প্রশ্নটি দিয়ে। কোচ ফাবিও লোপেজের নীরস উত্তর, ‘আই ডোন্ট নো।’পরদিন অর্থাৎ আজ অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে দেশের মাটিতে বাংলাদেশের বহুল আলোচিত ম্যাচ। ম্যাচ-পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে নেই অধিনায়ক মামুনুল ইসলাম! কোচের সঙ্গী মিডফিল্ডার জামাল ভূঁইয়া। মজাটা হলো, অধিনায়কসহ শেখ জামালের ১০ জন খেলোয়াড় তখন জাতীয় দলের ক্যাম্পের বাইরে। শেখ জামাল নিজেদের এক অনুষ্ঠানে নিয়ে গেছে ওই খেলোয়াড়দের!নাটক আর কাকে বলে! বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচ নিয়ে এমনিতেই কিছুদিন ধরে নিরাপত্তার বজ্র আঁটুনিই সর্বোচ্চ আলোচনায়। নিরাপত্তার খুঁটিনাটি নিয়ে ফুটবল ভবনে কাল সংবাদ সম্মেলনে কথা বললেন বাফুফে সদস্য, এএফসির নিরাপত্তা কর্মকর্তা ও ঢাকার অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার শেখ মারুফ হাসান। জানালেন, চার বছর আগে আর্জেন্টিনা-নাইজেরিয়া ম্যাচেও এমন নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছিল। পার্থক্য হলো সেবার নিরাপত্তা নিয়ে এত শোরগোল ওঠেনি।বিশ্বকাপ বাছাইয়ের এই ম্যাচের ফুটবলীয় আবেদনকে পিছু হটিয়ে দিয়েছে ওই নিরাপত্তা। আড়াই ঘণ্টা পিছিয়ে খেলোয়াড়–কর্মকর্তাসহ ৪৪ সদস্যের অস্ট্রেলিয়া দল কাল ঢাকায় পা রেখেছে রাত সাড়ে ৮টায়।বাংলাদেশ অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হওয়া মানেই একপেশে এক ম্যাচের পূর্বাভাস। যেখানে ম্যাচের ফলটা আগেই নির্ধারিত! ব্যবধানই বরং তর্কের বিষয়। পার্থে দুই দলের লড়াইয়ে অস্ট্রেলিয়া জিতেছে ৫-০ গোলে। সে ম্যাচে ৮০ শতাংশের ওপরে বল দখলে রেখে সকারুরা গিলে খেয়েছিল বাংলাদেশ দলকে। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে আজ বিকেল সাড়ে ৫টায় শুরু ম্যাচটিতেও থাকছে একই শঙ্কা।এ জন্যই ম্যাচের আগে আরও একাত্ম থাকা দরকার ছিল বাংলাদেশ দলের। সদ্যই তাজিকিস্তান থেকে ৫ গোল খেয়ে খেলোয়াড়েরা আবার মানসিকভাবে বিধ্বস্ত। আর এমন সময় কিনা জাতীয় দলে নিজেদের খেলোয়াড়দের নিয়ে নাটক করল শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। সবচেয়ে আশ্চর্যের, ওই খেলোয়াড়দের দুপুরে নিয়ে যাওয়ার পর বিকেলের অনুশীলনের শুরু থেকে তাঁরা থাকলেন না।লোপেজ ক্ষুব্ধ, ‘অবশ্যই এ ধরনের ঘটনা দলের জন্য ক্ষতিকর।’ বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ একসঙ্গে চার-পাঁচজন সাংবাদিকের তোপের মুখে আত্মসমর্পণই করলেন, ‘খেলোয়াড়দের আমরা অনুমতি দিইনি। কে দিল জানি না। ওরা (শেখ জামাল) টিম হোটেলে গাড়ি পাঠিয়ে খেলোয়াড়দের নিয়ে গেছে।’ প্রশ্নের উত্তরে ম্যানেজার আমিরুল ইসলাম বাবুও অসহায়, ‘আমি কিছু জানি না।’ কোচের সংযোজন, ‘আমার কাছ থেকে অনুমতি নেওয়া হয়নি।’ বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনকে ফোনে ধরা হলে ক্ষুব্ধ কণ্ঠই শোনা গেল, ‘ওরা আমাদের সম্মতি ছাড়াই খেলোয়াড় নিয়েছে।’তাহলে বাফুফে বড় না শেখ জামাল বড়? বাফুফে সাধারণ সম্পাদক শেখ জামালকেই ওপরে রাখলেন। এ নিয়ে শোরগোল ওঠায় সংবাদ সম্মেলনটা একপর্যায়ে থামিয়ে দিলেন ইরানি ম্যাচ কমিশনার, ‘সাংবাদিক বন্ধুরা থামুন প্লিজ, আপনারা কোচ ও খেলোয়াড়কে ম্যাচ নিয়ে প্রশ্ন করুন। খেলার বাইরের বিষয় আর নয়।’এরপরই ম্যাচ নিয়ে প্রশ্ন এবং বেশির ভাগই তাজিকিস্তান-বিপর্যয় নিয়ে। ওখানকার ঠান্ডা, বৃষ্টি, টার্ফ সবই যে প্রতিকূল ছিল কাল তা আরেকবার বললেন কোচ। মনে করিয়ে দিলেন, মূলত সাফ ফুটবল সামনে রেখেই তাঁর দায়িত্ব নেওয়া। অস্ট্রেলিয়া সম্পর্কে তাঁর কথা, ‘আমাদের জন্য অস্ট্রেলিয়া অন্যগ্রহের দল।’ তারপরও কী চান ম্যাচ থেকে? উত্তরটা বিস্ময়কর, ‘জয়!’ কোচদের বুঝি এমন বলতে হয়! প্রথমে হাসিখুশি থাকলেও পরে বাংলাদেশ দলের ব্যর্থতা নিয়ে প্রশ্ন শুনে ক্ষুব্ধও হয়ে উঠলেন লোপেজ।বাংলাদেশ দলের ডেনমার্কপ্রবাসী মিডফিল্ডার জামাল ভূঁইয়া বাস্তববাদী অভিলাষ ব্যক্ত করলেন, ‘দেশে খেলার সুবিধা নিয়ে আমি তো চাইব ড্র।’ তবে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যবধানটা সবাইকে বোঝার অনুরোধও রাখলেন। ভালো না খেললে প্রতিপক্ষ খুন করবে জানেন সেটাও, ‘আমাদের এক শ ভাগের চেয়েও বেশি ভালো খেলতে হবে।’ সংবাদ সম্মেলনটা শেষ হতেই টাঙ্গাইলের বাড়ি থেকে উইঙ্গার জাহিদ এসে হাজির বাফুফে ভবনে। ওখানে শুরু আরেক নাটক। কোচ তাঁকে বোঝালেন, কথা বললেন। কিন্তু চোটের কারণ দেখিয়ে খেলতে অপারগতা জানালেন জাহিদ।অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে খেলার রোমাঞ্চটা আসলে আর নেই ফুটবলারদের মধ্যে। শেষক্ষণে শেখ জামাল কাণ্ডে মন ভেঙে দিয়েছে গোটা দলেরই।
174,976
কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, ০১:৩৪
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, ০১:৩৫
কেশবপুর,যশোর,খুলনা বিভাগ,বিশাল বাংলা,অপরাধ
0
দুই ব্যবসায়ীর দ্বন্দ্বে বরনডালি বিলের বোরা আবাদ ব্যাহত
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/446098
দুই ব্যবসায়ীর দ্বন্দ্বে যশোরের কেশবপুর উপজেলার বরনডালি বিলের ৪০০ একর জমির বোরো আবাদ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এতে বিপাকে পড়েছেন প্রায় ৫০০ কৃষক।বরনডালির স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, উপজেলার শেষ প্রান্তের ত্রিমোহিনী ইউনিয়নের বরনডালি বিলে বরনডালি, মীরেরডাঙ্গা ও শাহাপুরের মানুষের ৪০০ একর জমি রয়েছে। প্রায় ৫০০ কৃষকের ওপর নির্ভরশীল। বিলটির অবস্থান কপোতাক্ষ নদের তীর ঘেঁষে হওয়ায় আগে নদের পানি উপচে বিলে ঢুকত। এতে ওই বিলে কোনো ফসল হতো না। ২০০৩ সালে এই এলাকার মানুষ স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে কপোতক্ষের তীর ঘেঁষে মাটির একটি বাঁধ নির্মাণ করেন। ওই বিলে বছরের আট মাস মাছ চাষ হয়। এরপর সেখানে বোরো ধানের আবাদ হয়।২০০৯ সাল থেকে এখানে আব্বাস আলী ও ঝিকরগাছা উপজেলার শাহানুর হোসেন দুজন ব্যবসায়ী একসঙ্গে মাছের ঘের করেন। তাঁরা বিলের পানি সেচ দিয়ে ফসল উৎপাদনের উপযোগী করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতিতে দিলে কৃষকেরা তাঁদের মাছ চাষ করতে দেন। এদিকে তাঁদের এই ব্যবসার মেয়াদ এ বছর শেষ হয়ে যায়। এরপর আব্বাস আলী নিজেই ঘের করার উদ্যোগ নেন। আর বিলের পানি সেচ দেওয়ার জন্য শাহানুরের তাঁর নামে নেওয়া পাঁচটি বৈদ্যুতিক মিটার (যার সাহায্যে পাম্পের মাধ্যমে বোরো মৌসুমে পানি সেচ দেওয়া হতো) তিনি গত ২৭ জানুয়ারি কাটিয়ে দেওয়ার জন্য যশোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২-এর জোনাল কার্যালয়ে আবেদন করেন। এই মিটারগুলো কেটে দিলে এলাকার কৃষকের ফসল উৎপাদন ব্যাহত হবে বলে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।বরনডালি এলাকার কৃষক গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘আমরা ওই ব্যবসায়ীদের মাছ চাষ করতে দিই শুধু এই শর্তে যে আমাদের জলাবদ্ধ পানি নিষ্কাশন করে দেবে বলে।’আব্বাস আলী বলেন, শাহানুরের নামে মিটার থাকা সত্ত্বেও পাঁচ বছর ধরে তিনি সেচ দিয়ে কৃষকদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করেছেন। এখন নতুন করে এলাকার কৃষকেরা তাঁকে আগামী পাঁচ বছরের জন্য মাছ চাষ করার অনুমতি দিচ্ছে বলে শাহানুর তাঁর নামে থাকা মিটারের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার আবেদন করেছেন।শাহানুর বলেন, ‘আমার নামে মিটার বরাদ্দ। যদি বিদ্যুতের বিল পরিশোধ না করা হয় তার দায়দায়িত্ব আমার। সে কারণে আমি মিটার সংযোগ বিচ্ছিন্নের আবেদন করেছি।’যশোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২-এর কেশবপুর আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক বরকত উল্লাহ বলেন, ‘মিটার বিচ্ছিন্নের অবেদন পেয়েছি। আইনানুযায়ী সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে গিয়ে এলাকার মানুষের বাধা পেয়ে আমরা ফিরে এসেছি। তবে এলাকার মানুষের সেচের বিষয়টি আমরা ভাবব।’
113,669
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
০২ আগস্ট ২০১৪, ০০:২৩
০২ আগস্ট ২০১৪, ০০:২৪
ব্রাহ্মণবাড়িয়া,চট্টগ্রাম বিভাগ,অপরাধ
0
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/280720
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পারিবারিক কলহের জের ধরে শারমিন আক্তার (২২) নামের এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে শহরের কলেজপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ওই গৃহবধূ পার্শ্ববর্তী শিমরাইলকান্দি এলাকার আবদুল জলিলের মেয়ে।শারমিনের পরিবারের লোকজন জানান, পাঁচ বছর আগে কলেজপাড়ার কালন মিয়ার ছেলে সোলায়মানের সঙ্গে শারমিনের বিয়ে হয়। দেড় বছর আগে সোলায়মান নরসিংদীতে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। এই বিয়ের পর থেকেই শারমিনের সঙ্গে সোলায়মানের পারিবারিক কলহ শুরু হয়। এর পর থেকে সোলায়মান প্রায়ই শারমিনকে মারধর করতেন। তাঁরা আরও জানান, শারমিন প্রায়ই তাঁকে নির্যাতনের কথা তাঁদের জানাতেন। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সোলায়মান শারমিনকে কয়েকবার মারধর করেন। পরে রাতে তাঁকে শ্বাসরোধে হত্যা করে সদর হাসপাতালে লাশ ফেলে পালিয়ে যান।ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) তাপস রঞ্জন ঘোষ জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
81,964
নিজস্ব প্রতিবেদক
bangladesh
বাংলাদেশ
২৫ জানুয়ারি ২০১৪, ২১:১৯
২৫ জানুয়ারি ২০১৪, ২১:২৪
রাজনীতি
null
সোনার নৌকা বিক্রির টাকা দান করলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/131551
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপহার হিসেবে পাওয়া সোনার নৌকা বিক্রি করে সেই অর্থ দান করেছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।আজ শনিবার সরকারি এক তথ্যবিবরণীতে এ কথা জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, সংবর্ধনায় পাওয়া সোনার নৌকা বিক্রি করা যে অর্থ পাওয়া গেছে তা ‘প্রত্যাশা’ নামের স্থানীয় একটি প্রতিবন্ধী শিশু সংস্থায় দান করা হয়েছে।আজ দুপুরে রাজশাহী সার্কিট হাউসে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম প্রত্যাশার সভাপতি রুশদার আহমেদ এর কাছে এ টাকা হস্তান্তর করেন। গতকাল শুক্রবার নিজের নির্বাচনী এলাকা রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীকে সোনার নৌকা ও সোনার কোটপিন উপহার দেওয়া হয়। প্রতিমন্ত্রীকে সোনার নৌকা উপহার দেন স্থানীয় পৌরসভার মেয়র আক্কাস আলী। এ সময় উপজেলার মনিগ্রাম ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি কাউসার আহাম্মেদ তাঁকে একটি সোনার কোটপিন উপহার দেন।তবে ভবিষ্যতে তাঁকে আর এ ধরনের উপহার না দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানান প্রতিমন্ত্রী। অনুষ্ঠানেই তিনি এ উপহারের সমপরিমাণ অর্থ স্থানীয় একটি প্রতিবন্ধী সংস্থায় দান করে দেওয়ার ঘোষণা দেন।উল্লেখ্য, প্রতিমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রায় দুই ঘণ্টা রাস্তায় দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। শিশুদের অনেকে ক্ষুধায় কাহিল হয়ে পড়লেও দুপুরে তাদের কাউকে কিছুই খেতে দেওয়া হয়নি।  না খেয়ে দাঁড়িয়ে শিশুরা, প্রতিমন্ত্রী পেলেন সোনার নৌকা
46,174
মো. মিন্টু হোসেন
technology
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
২৪ জুলাই ২০১৭, ০০:০৯
২৪ জুলাই ২০১৭, ০০:১০
খবরাখবর
null
রোগীর ব্যবস্থাপত্র লেখার সফটওয়্যার
http://www.prothom-alo.com/technology/article/1262856
চিকিৎসক কম্পিউটারেই লিখতে পারবেন রোগীর ব্যবস্থাপত্র। আর সে কাজের জন্য ইজিপ্রেস নামে একটি সফটওয়্যার তৈরি করেছেন সৈয়দ তাকশেদ করিম ও জুবায়ের আহমেদ। এটি রোগী ব্যবস্থাপনার কাজে ও ব্যবস্থাপত্র তৈরিতে চিকিৎসকেরা কাজে লাগাতে পারবেন। হাতে লেখা ব্যবস্থাপত্রের পরিবর্তে ডিজিটাল সুবিধা কাজে লাগিয়ে সহজে ব্যবস্থাপত্র লেখার উদ্দেশ্যেই ইজিপ্রেস নামের এই উদ্যোগ। ৭ জুলাই সফটওয়্যারটি আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করা হয়েছে।এরই মধ্যে প্রায় ৪০০ জন চিকিৎসক নিবন্ধন করে এই সফটওয়্যার ব্যবহার করা শুরু করেছেন। সহ-উদ্যোক্তা জুবায়ের আহমেদ প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। জুবায়ের বলছিলেন, ‘এখন স্মার্ট যুগ। আধুনিক পদ্ধতিতে রোগীর ব্যবস্থাপনা করতে চান চিকিৎসকেরা। ইজিপ্রেস চালুর পর দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দারুণ সাড়া পাচ্ছি।’ইজিপ্রেসের আরেক উদ্যোক্তা সৈয়দ তাকশেদ করিম যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন। কানাডায় অ্যারোস্পেস প্রকৌশলী হিসেবে চাকরি করেছেন। জুবায়ের ও তাকশেদ দুজন বন্ধু। পরিচয় ঢাকার নটর ডেম কলেজে পড়ার সময়। এ বছরের শুরুতে এই ইজিপ্রেসের ধারণা নিয়ে তাঁরা কাজ শুরু করেন। বর্তমানে ঢাকার গুলশানের অফিসে সাতজন কর্মী মিলে এই সফটওয়্যারের কাজ চলছে। কারিগরি কাজ ছাড়াও তথ্য যাচাই-বাছাইয়ে কাজ করছেন তাঁরা।জুবায়ের জানালেন ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা। তাঁরা চান, ২০১৯ সালের মধ্যে ২৫ হাজার চিকিৎসকের কাছে ইজিপ্রেস সফটওয়্যারটি পৌঁছে দিতে। বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলে (বিএমডিসি) নিবন্ধিত চিকিৎসকেরাই শুধু এই সফটওয়্যারটি ব্যবহার করতে পারবেন। আর তা ব্যবহার করতে চাইলে এর গ্রাহক হতে হবে। অবশ্য শিক্ষানবিশ চিকিৎসকেরা এটি বিনা মূল্যে ব্যবহার করতে পারবেন। তবে বিএমডিসিতে তাঁদের নিবন্ধন হয়ে গেলে গ্রাহক হতে হবে।সফটওয়্যারটির উল্লেখযোগ্য সুবিধার মধ্যে রয়েছে, ওষুধের ডেটাবেস। ওষুধের নাম মুখস্থ না করে ডেটাবেস থেকে বাছাই করে নিলেই হবে। এই তথ্যভান্ডারে নতুন ওষুধের নাম যোগ করা যাবে। সফটওয়্যারটি দিয়ে আগে থেকে ব্যবস্থাপত্রের টেম্পলেট তৈরি করে রাখা যাবে। ব্যবস্থাপত্র চিকিৎসকের অ্যাকাউন্টে থাকবে। রোগীর সব তথ্য সফটওয়্যারে সংরক্ষিত থাকবে। রোগীর তথ্য থাকায় রোগ নির্ণয় ও বিশ্লেষণে চিকিৎসকের সুবিধা হবে। ভবিষ্যতে সফটওয়্যারটিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা যুক্ত করার পরিকল্পনা করেছেন উদ্যোক্তারা।সফটওয়্যারটি ব্যবহারের জন্য প্রয়োজন ইজিপ্রেস অ্যাকাউন্ট, একটি কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপ ও ব্যবস্থাপত্র ছাপানোর জন্য একটি প্রিন্টার। সফটওয়্যারটি যথেষ্ট ব্যবহারবান্ধব ও নিরাপদ দাবি করে জুবায়ের আহমেদ বলেন, যেহেতু চিকিৎসকের তথ্য যাচাই-বাছাই করা হয়। তাই সফটওয়্যারটি নিশ্চিন্তে ব্যবহার করা যেতে পারে।সফটওয়্যারটি আরও উন্নত করার পাশাপাশি আরও বেশিসংখ্যক চিকিৎসকের কাছে এটি নিয়ে যেতে চান উদ্যোক্তারা।সফটওয়্যার সম্পর্কে জানা যাবে www.easypres.com ঠিকানার ওয়েবসাইটে।
328,439
নিজস্ব প্রতিবেদক
bangladesh
বাংলাদেশ
১২ মার্চ ২০১৭, ০৩:৩৫
১২ মার্চ ২০১৭, ০৩:৩৬
রাজধানী,রাজধানী (জাতীয়)
0
‘বঙ্গবন্ধু সিভিল সমাজের বোধ তৈরি করেছিলেন’
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1105438
অধ্যাপক বোরহানউদ্দিন খান জাহাঙ্গীর বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর সবচেয়ে বড় অবদান ঔপনিবেশিক পূর্ব পাকিস্তানে সিভিল সমাজের বোধ তৈরি করা। এ বোধ থেকে তিনি, তাঁর সহযোগীরা ও জনসাধারণ পাকিস্তান রাষ্ট্রকে প্রতিহত করেছেন।গতকাল শনিবার বাংলাদেশ ইতিহাস সম্মিলনীর আয়োজনে স্বাধীনতা দিবসের বক্তৃতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক এই অধ্যাপক এ কথা বলেন। বাংলা একাডেমির কবি শামসুর রাহমান মিলনায়তনে ‘বঙ্গবন্ধুর সবচেয়ে বড় অবদান’ শীর্ষক এই একক বক্তৃতা অনুষ্ঠিত হয়। বোরহানউদ্দিন খান জাহাঙ্গীর বলেন, বাঙালি সমাজ ও সংস্কৃতি পশ্চিম পাকিস্তানের সমাজ ও সংস্কৃতির দিক থেকে ছিল অগ্রসর। অগ্রসর হওয়া সত্ত্বেও বাঙালি সমাজ রাষ্ট্র গঠনের দিক থেকে পাকিস্তান রাষ্ট্রের কাছে নিজেদের সমর্পণ করেছিল। এই নৈতিক ব্যর্থতার বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধু বিকল্প তৈরি করেছেন সিভিল সমাজের শক্তি ব্যবহার করে, নৈতিক শক্তিকে শক্তিশালী করে। অনুষ্ঠানে সাহিত্যিক-সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির বলেন, বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতিকে আত্মপরিচয়ের সন্ধান দিয়েছেন। তিনি কেবল একটি জাতিরাষ্ট্র গঠন করতে চাননি, এ রাষ্ট্রের আদর্শ কী হবে সেটাও বলেছেন। সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের ওপর প্রাতিষ্ঠানিক চর্চা বাড়ানোর ওপর জোর দেন। সূচনা বক্তব্য দেন ইতিহাস সম্মিলনীর সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মাহবুবর রহমান।
301,899
-1
opinion
মতামত
০৪ জানুয়ারি ২০১৮, ০০:৪১
০৪ জানুয়ারি ২০১৮, ০১:৪৭
সম্পাদকীয়:
0
মনিরামপুরে ভাসমান সেতু
http://www.prothom-alo.com/opinion/article/1400861
যশোরের মনিরামপুর উপজেলার রাজগঞ্জ এলাকায় ঝাঁপা বাঁওড়ে দেশীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করে স্থানীয় মানুষের ভাসমান সেতু তৈরির উদ্যোগটি সত্যিই অনুসরণযোগ্য।বুধবার প্রথম আলোয় প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঝাঁপা গ্রাম উন্নয়ন ফাউন্ডেশন নামের একটি সামাজিক সংগঠনের ৬০ জন সদস্যের উদ্যোগে ও তাঁদের জমানো টাকায় ১ হাজার ফুট দৈর্ঘ্য ও ৮ ফুট চওড়ার ভাসমান সেতুটি বানানো হয়েছে। দেশীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করে ৮০০ প্লাস্টিকের ড্রাম, ৮০০ মণ লোহার অ্যাঙ্গেল এবং ২৫০টি লোহার শিট দিয়ে সেতুটি নির্মাণ করতে ব্যয় হয়েছে ৫০ লাখ টাকা। ঝাঁপা বাঁওড়ের আশপাশের নয়টি গ্রামের মানুষের চলাচলের সুবিধার জন্যই সেতুটি নির্মিত হয়েছে। এত দিন এসব গ্রামের মানুষের বাঁওড় পার হতে নৌকার ওপর ভরসা করতে হতো। এ জন্য তাঁদের নানা দুর্ভোগও পোহাতে হয়েছে। নৌকা দুর্ঘটনায় হতাহতের ঘটনাও ঘটেছে। সেতুটি নির্মিত হওয়ায় তাঁদের দুর্ভোগের অবসান ঘটল।ঝাঁপা গ্রাম উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের এ উদ্যোগ প্রশংসার দাবিদার। এ জন্য আমরা তাদের অভিনন্দন জানাই। অন্যরাও তাদের অনুসরণ করতে পারে। আমাদের গ্রামগঞ্জে প্রায়ই দেখা যায়, একটি সেতুর অভাবে মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বা সড়ক ভেঙে যাওয়ায় লোকজনের চলাচলে অসুবিধা হচ্ছে। এসবের জন্য বেশির ভাগ সময় সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর নির্ভর করতে হয়। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায়, সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর গাফিলতির কারণে অনেক স্থানে রাস্তাঘাট বা সেতু মেরামত হচ্ছে না। এসব ক্ষেত্রে নিজেরাই যদি উদ্যোগ নিয়ে এভাবে সেতু নির্মাণ বা রাস্তাঘাট মেরামত করে ফেলা যায়, তাহলে অনেক মানুষের ভোগান্তি কমে যেত।গত বছরের নভেম্বর মাসে রাজধানীর পূর্ব জুরাইন এলাকার বাসিন্দারা সরকারি কর্তৃপক্ষের ওপর নির্ভর না করে নিজেরাই উদ্যোগী হয়ে নর্দমায় জমে থাকা ময়লা অপসারণ করে পুরো এলাকাকে জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দিয়েছেন। দেশের বিভিন্ন স্থানে এ রকম স্থানীয় উদ্যোগে অনেক বড় বড় সমস্যার সমাধান হচ্ছে। তবে সরকারকে এটা মনে রাখতে হবে যে জনগণের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করার দায়িত্ব মূলত তাদেরই।
350,315
প্রথম আলো ডেস্ক
bangladesh
বাংলাদেশ
০৭ জানুয়ারি ২০১৪, ০১:০৭
০৭ জানুয়ারি ২০১৪, ০১:০৮
রাজনীতি
0
৪ জেলায় বিএনপি জামায়াতের ১৫ নেতা-কর্মী আটক
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/117264
ক্ষমতাসীন সরকারের ‘একতরফা’ দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রতিবাদ ও এর ফলাফল বাতিলের দাবিতে ১৮-দলীয় জোটের ডাকা হরতালে গতকাল সোমবার চার জেলায় ১৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ। আটক হওয়া ব্যক্তিরা সবাই বিএনপি ও জামায়াতের নেতা-কর্মী। নাশকতা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির আশঙ্কাসহ বিভিন্ন অভিযোগে তাঁদের আটক করা হয়। ঢাকার বাইরে প্রথম আলোর কার্যালয় ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর:পটুয়াখালী জেলা জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমির ও গলাচিপা ডিগ্রি কলেজের ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মু. শাহ আলমকে দুপুরে গলাচিপা পৌরসভার কলেজপাড়া থেকে আটক করা হয়েছে। গলাচিপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিশির কুমার পাল বলেন, ‘নির্বাচন-পরবর্তী সময়ে জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা এলাকায় নাশকতামূলক ঘটনা ঘটাতে পারে এমন তথ্যের পরিপ্রেক্ষিতে ওই জামায়াত নেতাকে আটক করা হয়।’ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা যুবদলের সভাপতি শামীম আজাদকে শহরের নতুন বাজারের বিএনপি কার্যালয়ের সামনে থেকে দুপুরে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হরতালের সমর্থনে ১৮ দলের নেতা-কর্মীরা মিছিলের প্রস্তুতি নেওয়ার সময় শামীম গ্রেপ্তার হন।গাজীপুরে বিএনপি-জামায়াতের ১০ কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ৪৮ ঘণ্টার হরতাল চলাকালে নাশকতা সৃষ্টির অভিযোগে জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাঁদের আটক করা হয়। আটকের পর আদালতের মাধ্যমে তাঁদের জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।রাজবাড়ীতে বিকেলে আটক করা হয় বিএনপির তিন নেতা-কর্মীকে। আটক হওয়া ব্যক্তিরা হলেন শহরের ৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সহসভাপতি আবদুর রশিদ, তারেক রহমান স্বদেশ প্রত্যাবর্তন সংগ্রাম কমিটির জেলা সদস্যসচিব রইচ উদ্দিন বাবু ও দলটির কর্মী গোলাম মোস্তফা।
41,702
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
technology
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
১৩ জুলাই ২০১৮, ১০:০৩
১৩ জুলাই ২০১৮, ১০:১৫
খবরাখবর
0
আইটি ইনকিউবেটরে এক বছর সহায়তা পাবে ৬ ডিজিটাল উদ্যোগ
http://www.prothom-alo.com/technology/article/1531646
বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় ডিজিটাল উদ্যোক্তাদের এগিয়ে নিতে মোবাইল অপারেটর বাংলালিংক ও বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক অথোরিটির যৌথ উদ্যোগ ‘আইটি ইনকিউবেটর ২.০’-এর জন্য ৬ ডিজিটাল উদ্যোগ নির্বাচন করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর লা মেরিডিয়ান হোটেলে আনুষ্ঠানিকভাবে ওই ৬ উদ্যোগের নাম ঘোষণা করা হয়।নির্বাচিত ৬টি ডিজিটাল স্টার্টআপ হলো জিনি আইওটি, ছবির বাক্স, হোমফুডস. কো, পার্কলি, টিচ ইট এবং ইজি সেন্স। এর মধ্যে জিনি আইওটি এআই-ভিত্তিক স্মার্ট অ্যাপলায়েন্সেস সেবা, ছবির বাক্স হচ্ছে ফটোগ্রাফি মার্কেটপ্লেস, হোমফুডস. কো হচ্ছে অনলাইন ফুড ডেলিভারি, পার্কলি হচ্ছে কার পার্কিং সলিউশন, টিচ ইট হচ্ছে ই-লার্নিং এবং ইজি সেন্স হচ্ছে ইন্ডাস্ট্রিয়াল আইওটির বিশেষ উদ্যোগ।নির্বাচিত এই ডিজিটাল উদ্যোগগুলো এক বছরের জন্য কারওয়ান বাজারে অবস্থিত জনতা টাওয়ারের আইটি ইনকিউবেটরে অবকাঠামো, উপকরণ ও প্রশিক্ষণ সুবিধা পাবে।গ্র্যান্ড গালা বিশেষ অনুষ্ঠানে জানানো হয়, আইটি ইনকিউবেটরে অংশগ্রহণকারী সেরা ছয় ডিজিটাল স্টার্টআপ বা উদ্যোগগুলো দেশের সেরা তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত আইটি ইনকিউবেটরের বাছাই পর্বের মাধ্যমে নির্বাচন করা হয়েছে।ডিজিটাল উদ্যোগের অভিনবত্ব ও ব্যবসায়িক সম্ভাবনার ভিত্তিতে অংশগ্রহণকারী দুই শতাধিক ডিজিটাল স্টার্টআপ থেকে বেছে নেওয়া হয়েছে সেরা ছয়টিকে—যেগুলো এক বছরের জন্য কারওয়ান বাজারে অবস্থিত জনতা টাওয়ারের আইটি ইনকিউবেটরে অবকাঠামো, উপকরণ ও প্রশিক্ষণ পাবে।আইটি ইনকিউবেটর বাংলালিংকের স্বত্বাধিকারী প্রতিষ্ঠান ভিওনের ফ্ল্যাগশিপ করপোরেট রেসপনসিবিলিটি প্রোগ্রাম ‘মেক ইওর মার্কের’ অন্তর্ভুক্ত। বিশ্বের যেসব স্থান ভিওনের কার্যক্রমের আওতাধীন, সেখানে আইটি খাতের উন্নয়নে এটি কাজ করে।বাংলালিংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এরিক অস বলেন, ‘বাংলালিংক এই বিশেষ উদ্যোগের অংশ হতে পেরে অত্যন্ত গর্বিত। আইটি ইনকিউবেটর সম্ভাবনাময় ডিজিটাল স্টার্টআপগুলোর জন্য প্রয়োজনীয় একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে। দেশের অন্যতম প্রধান ডিজিটাল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান হিসেবে আমরা প্রতিভাবান ডিজিটাল উদ্যোক্তাদের পাশে দাঁড়িয়ে তাঁদের উদ্ভাবনী পরিকল্পনাকে সফল উদ্যোগে পরিণত করার ক্ষেত্রে সাহায্য করতে চাই। ভবিষ্যতে সরকারের সঙ্গে আমাদের অংশীদারত্ব দৃঢ়তর করে আমরা তাদের উন্নয়নের জন্য আরও উদ্যোগ গ্রহণ করতে চাই।’বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক অথোরিটির পরিচালক হোসনে আরা বেগম বলেন, ডিজিটাল স্টার্টআপগুলোকে প্রয়োজনীয় সাহায্য করা হবে।২০১৬ সালের জুলাই মাসে প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় ও ইন্টারন্যাশনাল টেলি কমিউনিকেশনস ইউনিয়নের সেক্রেটারি জেনারেল হওলিন ঝাও আইটি ইনকিউবেটর উদ্বোধন করেন।
370,318
বিনোদন প্রতিবেদক
entertainment
বিনোদন
২২ নভেম্বর ২০১৫, ১৬:০৮
০২ মার্চ ২০১৮, ১২:৪২
বলিউড
null
বাংলাদেশে হিন্দি ছবি মুক্তি নিয়ে হৃতিকের প্রশ্ন
http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/691123
‘বাংলাদেশে একই দিনে হিন্দি ছবি কেন মুক্তি পায় না? কেন? কেন?’ কথাগুলো বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা হৃতিক রোশনের। শুক্রবার বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ (বিপিএল) এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নিজের পরিবেশনা শেষে উপস্থিত দর্শকদের কাছে এমন প্রশ্ন ছুড়ে দেন তিনি।হৃতিকের এমন প্রশ্নে কনসার্ট দেখতে আসা অনেকের মধ্যেই মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। অনেকে জানিয়েছেন, এই ধরনের একটি অনুষ্ঠানে এভাবে তিনি হিন্দি ছবি মুক্তির আহ্বান জানাতে পারেন না।বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ (বিপিএল)-এর এবারের আসরের প্রধান আকর্ষণ ছিলেন বলিউডের অভিনেতা হৃতিক রোশন। শুক্রবার রাতে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে নাচে-গানে ঢাকার দর্শকদের দর্শকদের মাতিয়ে গতকাল দুপুর একটায় মুম্বাই ফিরে গেছেন এ অভিনেতা। আর নিয়ে গেছেন ঢাকার মানুষের ভালোবাসা।ছয় মিনিটের পরিবেশনা শেষে উপস্থাপিকা নুসরাত ফারিয়ার সঙ্গে কথোপকথনের পর মঞ্চ ছাড়ার ঠিক আগে হৃতিক রোশন হঠাৎই বলে ওঠেন, তাঁর একটা প্রশ্ন আছে। এরপর হৃতিক বলেন, ‘হিন্দি চলচ্চিত্র এখানে (বাংলাদেশে) কেন মুক্তি দেওয়া হয় না? কেন...? আমি এখানে নয়, তোমাদের সঙ্গে ওখানেই নাচতে চাই। আমার ছবি বাংলাদেশে মুক্তি পেলে আমি এখানে নয়, ওখানে, তোমাদের সঙ্গে ওখানেই নাচব। সবাইকে অনেক ভালোবাসি। সবাই ভালো থাকবেন। আবারও দেখা হবে।’এদিকে, ঢাকা থেকে মুম্বাইতে ফিরে গতকাল শনিবার এক টুইট বার্তায় হৃতিক লিখেছেন, ‘তোমাদের সঙ্গে মিলে গতকাল (শুক্রবার) রাতটাকে ম্যাজিক রাত বানিয়েছি। তোমাদের আছে অপরিসীম শক্তি, ভালোবাসার শক্তি।’ তিনি আরও জানান, এখন থেকে যেখানেই যাব সেখানেই তা ছড়িয়ে দেব। ভালোবাসি বাংলাদেশ।
176,473
-1
life-style
জীবনযাপন
২৯ অক্টোবর ২০১৩, ০১:২৯
২৯ অক্টোবর ২০১৩, ০১:৩৪
নকশা,খাবারদাবার
0
রসুইঘর থেকে
http://www.prothom-alo.com/life-style/article/59878
লবস্টার থার্মিডরনাম শুনেই বুঝতে পেরেছেন চিংড়ি নিয়ে বেশ এলাহি একটা কাণ্ড-কারখানা হবে। চিংড়ির ওজন দুই-তিন কেজি পর্যন্ত হতে পারে। তবে এখানে ৫০০ গ্রাম চিংড়ির হিসেবে রেসিপি দেওয়া হলো।উপকরণ: লবস্টার ৫০০ গ্রাম, ক্যানড ক্রিম ১টি, ক্যানড মাশরুম ২ টুকরা, এ ছাড়া পরিমাণমতো লাগবে মাখন, পেঁয়াজ, রসুন, লবণ, সাদা গোলমরিচ ও পারমিজান পনির।প্রণালি: লবস্টারের খোসা থেকে মাংস বের করে টুকরা করে নিন। পেঁয়াজ, রসুন মিহি কুচি করে নিন। চুলায় মাখন গলিয়ে তাতে পেঁয়াজ-রসুন ভেজে বাদামি করে নিন। মাশরুমকুচি দিন। এটি মিনিটি দুয়েক ভেজে চিংড়ির মাংস দিয়ে নিন। এবার ৮-১০ মিনিট ভাজতে হবে। এরপর পুরো একটা ক্যানড ক্রিম ও পারমিজান পনির দিন। ভালো করে নেড়ে মাখা মাখা করতে হবে। এরপর লবস্টার খোসাটা ওভেনে পাঁচ মিনিট হালকা গরম করে নিতে হবে। এরপর রান্না করা চিংড়ি খোসার ভেতর ভরে দিন। এর ওপর পনির দিয়ে মিনিট তিনেক ওভেনে গরম করে পরিবেশন করবেন লবস্টার থার্মিডর।গ্রিলড কালামারি সালাদউপকরণ: কালামারি/স্কুইড ১২০ গ্রাম, পেঁয়াজ ১টা, লাল ও সবুজ ক্যাপসিকাম একটির চার ভাগের এক ভাগ করে, কাঁকড়ার পা ১টা, চেরি টমেটো ২টি, গ্রিন অলিভ ২টি। এ ছাড়া পরিমাণমতো লাগবে লবণ, গোলমরিচগুঁড়া ও জলপাই তেল।প্রণালি: পেঁয়াজ ও ক্যাপসিকাম জুলিয়ান করে কেটে নিন। কাঁকড়ার পা টুকরা করে নিন। প্যানে জলপাই তেল নিয়ে তাতে স্কুইড বা কালামারি দিয়ে মিনিট পাঁচেক ভেজে নিন। এবার কাঁকড়ার পা, পেঁয়াজ, টমেটো, গ্রিন অলিভ দিয়ে দুই মিনিট ভাজুন। নামিয়ে প্লেটে সাজিয়ে পরিবেশন।
23,720
বিশেষ প্রতিনিধি, যুক্তরাষ্ট্র
international
আন্তর্জাতিক
২৪ জানুয়ারি ২০১৫, ০০:৪৭
২৪ জানুয়ারি ২০১৫, ০০:৪৯
আরব বিশ্ব,যুক্তরাষ্ট্র
0
নেতানিয়াহুকে নিয়ে ওবামার বিরক্তি
http://www.prothom-alo.com/international/article/432442
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু মার্কিন কংগ্রেসে ভাষণ দেওয়ার আমন্ত্রণ পেয়েছেন রিপাবলিকান-নিয়ন্ত্রিত কংগ্রেসের স্পিকার জন বোয়েনারের কাছ থেকে। ৩ মার্চ কংগ্রেসের এক যৌথ অধিবেশনে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি কতটা ‘বিপজ্জনক’, সে বিষয়ে তিনি ভাষণ দেবেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার বিরোধিতা সত্ত্বেও এ আমন্ত্রণ জানানো হয়।ওবামা প্রশাসনের আপত্তির কারণ, ইরানের সঙ্গে পরমাণু প্রশ্নে যে আলাপ-আলোচনা চলছে, তা এখন এক গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে পৌঁছেছে। ওবামা গত মঙ্গলবার তাঁর স্টেট অব দি ইউনিয়ন ভাষণে রাখঢাক ছাড়াই জানিয়েছেন, তাঁর আপত্তি সত্ত্বেও কংগ্রেস ইরানের বিরুদ্ধে নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে আইন পাস করলে তিনি ভেটো দেবেন।কূটনৈতিক আচার অনুসারে বিদেশি সরকারপ্রধানকে আমন্ত্রণের আগে সে বিষয়ে প্রশাসনের সঙ্গে সলাপরামর্শ করার কথা। স্পিকার বোয়েনার তা করেননি। কারণ জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, আইন পরিষদ স্বতন্ত্র ও স্বাধীন। সে কী করবে, তার জন্য নির্বাহী শাখা থেকে আগাম অনুমতির কোনো প্রয়োজন নেই।ওবামা প্রশাসন জানিয়েছে, নেতানিয়াহু সফরের সময় তাঁকে রাষ্ট্রীয় সম্মান দেখানো হবে না। কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে মার্চের তৃতীয় সপ্তাহে অনুষ্ঠেয় ইসরায়েলের নির্বাচনের কথা। তবে সেটি যে আসল কারণ নয়, মার্কিন রাজধানীতে সে কথা কারও অজানা নয়।ডেমোক্র্যাটদের মধ্যেও ইসরায়েল সমর্থকের অভাব নেই। নিউজার্সির ডেমোক্র্যাটিক সিনেটর রবার্ট মেনেনদেজ ওবামার ইরান নীতির তীব্র সমালোচনা করেছেন। দুই দলের সমর্থনে নতুন কোনো আইন হয়ে গেলে তাতে ভেটো দেওয়া ওবামার জন্য খুব স্বস্তির ব্যাপার হবে না।নেতানিয়াহুর সঙ্গে প্রেসিডেন্ট ওবামার ব্যক্তিগত সম্পর্ক আগাগোড়াই শীতল। গত বছর ইসরায়েলের গাজা হামলা ও তার অব্যবহিত পর মার্কিন অনুরোধ উপেক্ষা করে পূর্ব জেরুজালেমে নতুন ইহুদি বসতি স্থাপনের ঘোষণার ফলে সে সম্পর্ক আরও জটিল হয়ে পড়েছে।
109,531
এএফপি
international
আন্তর্জাতিক
১৮ জানুয়ারি ২০১৭, ০০:০০
১৮ জানুয়ারি ২০১৭, ০১:৪৯
ইউরোপ
0
বিনা বেতনে নির্জনবাসের চাকরি
http://www.prothom-alo.com/international/article/1061917
চোখজুড়ানো নিসর্গ। তবে কোনো প্রতিবেশী নেই। যদি আপনি ঘর উষ্ণ রাখার হিটার, বিদ্যুৎ আর ইন্টারনেট ছাড়া থাকতে পারেন—চাকরিটার জন্য কেন আবেদন করছেন না?জায়গাটা অস্ট্রিয়ার সালজ্‌বুর্গের কাছে। নাম সালাফেলডেন। শহরটির ওপরে একটা খাড়া পাহাড়ের গায়ে আশ্রম আছে। চাকরিটা পেলে আপনাকে ওই নির্জন আশ্রমে একা একা থাকতে হবে। তবে কোনো বেতন পাবেন না। মধ্য ইউরোপে এখনো যে গুটিকয়েক নির্জন আশ্রম টিকে রয়েছে, এটি সেগুলোর অন্যতম।স্থানীয় যাজক আলোয়া মোজের বলেন, সাড়ে তিন শ বছর আগে সালাফেলডেনের আশ্রমটা বানানো হয়েছিল। সেই থেকে প্রতিবছর কেউ না কেউ সেখানে থেকেছে। কিন্তু তাঁদের সর্বশেষ উত্তরসূরি এখনো খুঁজে পাওয়া যায়নি।এক বছরের নির্জনবাসের চাকরিটার জন্য প্রয়োজনীয় যোগ্যতার বিবরণ অনুযায়ী প্রার্থীর ‘খ্রিষ্টীয় বিশ্বাসের সঙ্গে সম্পর্ক’ থাকতে হবে। আর সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৪ হাজার ৬০০ ফুট ওপরে গিয়ে বসবাসের জন্য তাঁদের মধ্যে ‘আত্মপ্রশান্তি’ থাকা চাই।সালাফেলডেনের ওয়েবসাইট বলছে, পরিপূর্ণ একাকিত্ব আশা করবেন না। কারণ, ওই আশ্রমে পর্যটকদের আনাগোনা আছে। তাঁরা চারপাশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে যান। কেউবা সেখানে গিয়ে প্রার্থনা করেন।মোজের বলেন, প্রার্থীদের জানা দরকার, সালাফেলডেনের আশ্রমে থাকলেই জীবনটা নিঃসঙ্গ হয়ে যায় না। অনেকে এসে এখানে আস্থা খুঁজে পেতে চান। তাঁদের সঙ্গ দেওয়ার জন্যই আশ্রমে কাউকে থাকতে হয়।সাবেক নির্জনবাসী, সাবেক যাজক ও মনোরোগ চিকিৎসক টমাস ফিয়েগমুয়েলার সেখানে একটা মৌসুম পর্যন্ত ছিলেন। পরে ভিয়েনায় ফিরে যান। সালাফেলডেনের আশ্রমটা এপ্রিল থেকে নভেম্বর পর্যন্ত খোলা থাকে। লেখালেখির জন্যই সেখানে থাকতে গিয়েছিলেন ফিয়েগমুয়েলার। তিনি স্থানীয় একটি পত্রিকাকে বলেছেন, ‘আশ্রমবাসের জীবনটা কঠিন। তবে সেখানকার প্রকৃতি মোহনীয়। চমৎকার কয়েকজন দর্শনার্থীর সঙ্গে আমার দেখা হয়েছিল, সুন্দর আলোচনাও। কেউ কেউ ওই নির্জনবাসীদের নিয়ে সমালোচনাও করেন। যেমন তাঁদের কেন আলখাল্লা পরতে হয় না বা দাড়ি রাখার বাধ্যবাধকতা নেই ইত্যাদি। সেসব বিবেচনায় নিলে হয়তো আমি অযোগ্যই ছিলাম।’চাকরিটার জন্য আবেদনপত্র ডাকযোগেই পাঠাতে হবে, ই-মেইল গ্রহণযোগ্য নয়। শেষ তারিখ আগামী ১৫ মার্চ। কোনো বেতন পাবেন না। মোজের বলেন, বিভিন্ন বিষয় জানতে চেয়ে অনেকেই চিঠি পাঠিয়েছেন। তবে এখন পর্যন্ত কোনো আনুষ্ঠানিক প্রার্থী মেলেনি।
284,660
নিজস্ব প্রতিবেদক, কক্সবাজার
bangladesh
বাংলাদেশ
৩০ জুন ২০১৬, ২২:১২
৩০ জুন ২০১৬, ২২:২৮
অপরাধ,কক্সবাজার,চট্টগ্রাম বিভাগ
null
টেকনাফে আনসার ক্যাম্পে হামলা : ৫ রোহিঙ্গা গ্রেপ্তার
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/904360
কক্সবাজারের টেকনাফে ক্যাম্পে হামলা চালিয়ে আনসার কমান্ডার হত্যা ও অস্ত্র লুটের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পাঁচ রোহিঙ্গাকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা শিবির এলাকার জঙ্গলে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন টেকনাফের মুচনী রোহিঙ্গা শিবিরের ডি ব্লকের বাসিন্দা মো. রফিক ওরফে মামুন মিয়া, ই-ব্লকের আবদুর রাজ্জাক ও তাঁর ভাই আবদুস সালাম, সি ব্লকের মো. জয়নাল ওরফে জানে আলম ও মো. হারুন।গত ১৩ মে টেকনাফের নয়াপাড়া রোহিঙ্গা শিবিরের ভেতরে শালবন আনসার ক্যাম্পে হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। এ সময় দুর্বৃত্তের গুলিতে নিহত হন আনসার কমান্ডার আলী হোসেন। পরে ক্যাম্প থেকে আনসারের ১১টি অস্ত্র ও ৬৭০টি গুলি লুট করে দুর্বৃত্তরা।আজ বৃহস্পতিবার র‍্যাব-৭ কক্সবাজার ক্যাম্পে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে গ্রেপ্তার হওয়া পাঁচ ব্যক্তিকে সাংবাদিকদের সামনে আনা হয়।এ সময় র‍্যাব-৭-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মিফতাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, গ্রেপ্তার পাঁচ রোহিঙ্গা আনসার কমান্ডার হত্যা ও অস্ত্র লুটের সঙ্গে জড়িত। তাঁরা চিহ্নিত রোহিঙ্গা ডাকাত। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে দুজন মিয়ানমারের জঙ্গি সংগঠন রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশনের (আরএসওর) সঙ্গে জড়িত।র‍্যাব সূত্রের ভাষ্যমতে, হামলার পরপরই দুর্বৃত্তরা মিয়ানমারে পালিয়ে গেছে বলে গুজব শোনা গেলেও মূলত তারা কুতুপালং ক্যাম্পের পাশে জঙ্গলে পালিয়ে ছিল। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে র‍্যাব সেখানে অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে। লুণ্ঠিত অস্ত্রগুলো বাংলাদেশে আছে, নাকি মিয়ানমারে চলে গেছে, সে ব্যাপারে অনুসন্ধান চলছে।আনসার ক্যাম্পে হামলার ঘটনায় গত ৩০ মে পুলিশ টেকনাফের হোয়াইক্যংয়ের জঙ্গল থেকে নুরুল আবছার নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে। ৩১ মে তিনি কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিমের আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। জবানবন্দিতে তিনি বলেন, আনসার ক্যাম্প থেকে লুট করা ১১টি অস্ত্র মিয়ানমারে নেওয়া হয়েছে। পাকিস্তানি নাগরিক ওমর ফারুকের পরিকল্পনায় তাঁরা আনসার ক্যাম্পে হামলা চালান। আরএসওর জন্য অস্ত্রগুলো লুট করা হয়েছে।
236,947
আব্দুল কাইয়ুম
opinion
মতামত
০১ জুন ২০১৭, ০১:৩০
০১ জুন ২০১৭, ০১:৩২
আব্দুল কাইয়ুম,সপ্তাহের হালচাল
0
মায়ের জীবন বাঁচাবে ডিজিটাল বালা
http://www.prothom-alo.com/opinion/article/1200796
এই বালা সেই বালা নয়। ডিজিটাল বালা। শক্ত প্লাস্টিকের। ভাঙে না। মচকায় না। রান্নাবান্নার সময় পানিতে ভিজলে কিছু হয় না। চুলার তাপেও অবিকল কাজ করে। একে উঁচু মানের ভাষায় ব্রেসলেটও বলা যায়। বালাটা বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে সন্তানসম্ভবা মায়ের জন্য। যিনি দূরের কোনো গ্রামে থাকেন। সারা দিন ঘরসংসারের কাজ করেন। ঢেঁকিতে পাড় পাড়েন। চুলার সামনে দিনের সাত-আট ঘণ্টা থকেন। তঁার সন্তান প্রসবের কথা ভাবার অবসরও নেই।ডিজিটাল বালা তার গ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় সপ্তাহে দুবার পরামর্শ দেবে, সুস্থ সন্তান জন্ম দেওয়ার জন্য প্রসূতি মায়ের কী করতে হবে। কী খেতে হবে। কোন অবস্থায় করণীয় কী ইত্যাদি। চুলা থেকে বেশি ধোঁয়া বের হলে ডিজিটাল ব্রেসলেট সক্রিয় হয়ে উঠবে। সে সাবধান করে দেবে, কারণ ধোঁয়ার কার্বন মনোক্সাইড পেটের সন্তানের জন্য বিপদ ডেকে আনতে পারে।এর নাম ‘ডিজিটাল ব্যাঙ্গল’ বা ‘ডিজিটাল বালা’। ‘কোয়েল’ নামে পরিচিত। দাম ১২ থেকে ১৫ ডলার, মানে হাজার-বারো শ টাকা। সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো যদি গ্রামের গরিব প্রসূতি মায়েদের জন্য বিনা পয়সায় এই বালাটি সরবরাহ করে, তাহলে সন্তান জন্মদানের সময় সমস্যার কারণে অনেক মায়ের অকালমৃত্যু রোধ করা সম্ভব।খবরটি আমাদের অনেকেরই জানা ছিল না। এই বালা নিয়ে গত বছর ২৯ নভেম্বর প্রথম আলোতে একটি প্রতিবেদন ছাপা হয়। ইন্টেল করপোরেশন ও গ্রামীণ ট্রাস্ট মিলে এটা বানিয়েছে। যদিও আমাদের গ্রামে গ্রামে মোবাইল এবং মোবাইলে মাতৃমৃত্যু রোধে বেশ কিছু সেবা পাওয়া যায়। কিন্তু সমস্যা হলো বেশির ভাগ ক্ষেত্রে মোবাইলগুলো থাকে স্বামীর মুঠোয়। প্রয়োজনের সময় তিনি হয়তো হাটে-বাজারে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা মারছেন। তাহলে বিপদে কে তাকে বঁাচাবে?ডিজিটাল বালাটি শুধু মায়েদের হাতে পরার উপযুক্ত করে তৈরি করা হয়েছে। ওটা স্বামীর কাজে লাগবে না। আবার এটা বেশ মজবুত। একজন মা ব্যবহার করার পর পাশের বাসার আরেকজন সন্তানসম্ভবা মা সেটা ব্যবহার করতে পারবেন। ব্যাটারিও বেশ টেকসই।খবরে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ মাতৃমৃত্যু রোধে অনেক দূর এগিয়েছে। এবার ডিজিটাল বালা শুধু বাংলাদেশ নয়, সমস্ত দক্ষিণ এশিয়ায় মাতৃমৃত্যু রোধে ভূমিকা রাখবে।২৮ মে নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস উপলক্ষে ২৭ মে প্রথম আলো ও ইউনিসেফের উদ্যোগে আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকের মূল আহ্বান ছিল ‘নিরাপদ প্রসব চাই, স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চলো যাই’। শিশু জন্ম দিতে গিয়ে বিশ্বে প্রতিদিন ৮৩০ জন মা মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। বাংলাদেশে প্রতিদিন ১৪ জন প্রসূতি মায়ের মৃত্যু হয়। বছরে অন্তত ৫ হাজার ২০০ জন মারা যাচ্ছেন। তার মানে বছরে প্রতি ইউনিয়নে অন্তত একজন প্রসূতি মায়ের চলে যেতে হচ্ছে।মাতৃমৃত্যু হার কমিয়ে আনতে হলে দরকার প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মিডওয়াইফ। বাংলাদেশে এখন প্রতি লাখ জীবিত জন্মে ১৭৬ জন মায়ের মৃত্যু হয়। এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ২০৩০ সালের মধ্যে এই হার কমিয়ে আনতে হবে ৫৯-এ। এটা সম্ভব যদি আমরা ইউনিয়ন পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোতে দক্ষ মিডওয়াইফ ও জরুরি প্রয়োজনে অপারেশন করতে হলে একজন করে অবেদনবিদের (অ্যানেস্থেসিওলজিস্ট) ব্যবস্থা করতে পারি। ২০২১ সালের মধ্যে ২২ হাজার মিডওয়াইফ দরকার।এটা কি সরকার একা পারবে? না, কখনো না। এখানে বেসরকারি সংস্থাকে এগিয়ে আসতে হবে। তবে সরকারের একটা কাজ করতে হবে। নির্দেশ দিতে হবে, প্রত্যেক বেসরকারি ক্লিনিক বা হাসপাতালে মিডওয়াইফ থাকতে হবে। তাহলেই মিডওয়াইফের চাহিদা সৃষ্টি হবে এবং প্রয়োজনীয় সংখ্যক মিডওয়াইফ প্রশিক্ষণকেন্দ্র গড়ে উঠবে।বাজারে চাহিদা সৃষ্টি করা এখন সবচেয়ে জরুরি। সরকার আইনের মাধ্যমে এ বিষয়ে সাহায্য করতে পারে।আবার দেখতে হবে, সরকারি হাসপাতালে তো প্রায় বিনা পয়সায় গরিব মায়েরা সেবা পান। কিন্তু বেসরকারি ক্লিনিকে তো গলাকাটা দাম। তাহলে গরিবের কী হবে? সরকারি হাসপাতালে তো সবার জায়গা হবে না।তাই সরকার একটা কাজ করতে পারে। যুক্তিসংগত দাম বেধে দিতে পারে। সরকার যদি রমজান মাসে মাংসের দাম, বাসের ভাড়া বেধে দিতে পারে, তাহলে শুধু প্রসূতি মায়ের জন্য কেন পারবে না। বেসরকারি হাসপাতালগুলো তো সিএসআর হিসেবেও প্রসূতি মায়েদের জন্য খুব কম দামে প্রসবের ব্যবস্থা করতে পারে।আরেকটি সমস্যা হলো সিজারিয়ান অপারেশন। অনেক সময় ডাক্তাররা ঝুঁকি নিতে চান না। সামান্য সমস্যা থাকলেই সিজারিয়ানে চলে যান। আবার অনেক মা নিজেও ঝুঁকি নিতে চান না। বলেন সিজারই ভালো।ইউনিয়ন পর্যায়ে যদি সন্তানসম্ভবা মায়ের নিয়মিত চেকআপের ভালো ব্যবস্থা, আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসহ লেবার রুম (সন্তান প্রসব ব্যবস্থা) থাকে, যদি জন্মের আগের মুহূর্ত পর্যন্ত বাচ্চার অবস্থান জানার সুব্যবস্থা থাকে এবং জরুরি প্রয়োজনে সিজারিয়ানের জন্য উপজেলা হাসপাতালে পাঠানোর জন্য অ্যাম্বুলেন্স থাকে, তাহলে ডাক্তার ও আস্থা বাড়বে, সিজারিয়ান কমবে।হাসপাতালে নাকি অবেদনবিদ পাওয়া যায় না। প্রশিক্ষণের জন্য বিজ্ঞপ্তি দিলেও নাকি প্রার্থী পাওয়া যায় না। অথচ জরুরি প্রসবের জন্য অবেদনবিদের দরকার খুব বেশি। অবেদনবিদ হলেন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার। তিনি যে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার হিসেবে অপরিহার্য, সেটা আমাদের মতো সাধারণ মানুষ অনেকেই জানে না। তাই অবেদনবিদের প্রাতিষ্ঠানিক মর্যাদা, চাকরি ক্ষেত্রে বেশি ও বিশেষ সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা দরকার। তাহলে অবেদনবিদের অভাব হওয়ার কথা নয়।আমরা কেন সিজারিয়ানের হার কমাতে চাই? কারণ, স্বাভাবিক প্রসব হলে বাচ্চা বেশি সুস্থ-সবল থাকে ও তার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও অনেক বেশি থাকে। বিবর্তনের ধারায়ই শিশুর জন্মপথ এমন সরু। কারণ, ওই সরু পথে জন্মলাভের সময় শিশু এমন কতগুলো স্তরের মধ্য দিয়ে অতিক্রম করে, যা তাকে পরবর্তীকালে বেঁচে থাকার অতিরিক্ত সুবিধায় সজ্জিত করে। স্বাভাবিক জন্মের শিশুদের মাথার আকার তুলনামূলক ছোট এবং প্রকৃতিতে টিকে থাকার জন্য বেশি উপযোগী বলেই শিশুর জন্মনালি (বার্থ ক্যানেল) এমন সরু। সিজারিয়ান শিশুদের অনেকে এই বাড়তি সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়। তাই ডাক্তার ও প্রসূতি মা, সবারই এ বিষয়ে সচেতন থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। তবে জরুরি ক্ষেত্রে অবশ্যই সিজারিয়ানে যেতে হবে।ডিজিটাল বালায় আবার আসি। আমরা যদি সব গ্রামে সব প্রসূতিকে নিরাপদ প্রসবের জন্য স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যেতে চাই, তাহলে সেখানে সবকিছুর আয়োজন ঠিক রাখতে হবে। আর ডিজিটাল ব্যবস্থায় তাদের খোঁজখবর রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। একজন প্রসূতিকে কখন কী করতে হবে, সেটা তার নিজে এবং পরিবারের কর্তাব্যক্তিদের সব সময় জানিয়ে রাখতে হবে।মা ও শিশুমৃত্যুর হার আমরা অনেক কমিয়ে আনছি। আরও কমিয়ে আনব নিশ্চয়ই। এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করলে সত্যিই মা ও শিশুর জন্য একটা বিপ্লব হয়ে যাবে।আব্দুল কাইয়ুম: সাংবাদিক।quayum@gmail.com
320,845
নিজস্ব প্রতিবেদক, সিরাজগঞ্জ
bangladesh
বাংলাদেশ
২৯ এপ্রিল ২০১৪, ২০:১৯
২৯ এপ্রিল ২০১৪, ২০:১৯
অপরাধ
0
উল্লাপাড়ায় অপহরণের ৪০ ঘণ্টা পর যুবক উদ্ধার
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/204775
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া থেকে অপহরণের ৪০ ঘণ্টা পর অচেতন অবস্থায় উদ্ধার হলেন নুর ইসলাম (২৬) নামের এক যুবক। বর্তমানে তিনি উল্লাপাড়া ২০ শয্যা হাসপাতালে চিকিত্সাধীন।নুর ইসলাম উল্লাপাড়া পৌরসভার পশ্চিমপাড়া মহল্লার ইয়াকুব আলীর ছেলে।নুর ইসলামের বাবা ইয়াকুব আলী জানান, গত রোববার সকাল ১০টার দিকে তাঁর ছেলেকে এক ব্যক্তি মুঠোফোনে উল্লাপাড়ার শ্যামলীপাড়া বাসস্ট্যান্ডে যেতে বলেন। ছেলে বাসস্ট্যান্ডে যাওয়ার পর থেকে তাঁর ফোনটিও বন্ধ ছিল। গতকাল সোমবার রাত দুইটার দিকে অপহরণকারীরা একটি নছিমনে করে অচেতন অবস্থায় নুর ইসলামকে বনপাড়ার দিকে নিয়ে যাওয়ার পর উল্লাপাড়া বড়গোজা সেতুর পাশে নছিমনটি দাঁড় করায়। এ সময় স্থানীয় একটি চায়ের দোকানের কিছু লোক অচেতন অবস্থায় নুর ইসলামকে কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে জিজ্ঞাসা করলে নছিমনটি রেখে তারা পালিয়ে যায়।খবর পেয়ে আজ মঙ্গলবার সকালে ইয়াকুব আলী বড়গোজার সেতুর পাশ থেকে তাঁর ছেলেকে নিয়ে এসে উল্লাপাড়া হাসপাতালে ভর্তি করান। তিনি আরও জানান, অপহরণকারীরা তাঁর ছেলেকে দূরে কোথাও নিয়ে যাওয়ার পর মুক্তিপণ দাবি করত।
69,368
নিজস্ব প্রতিবেদক
bangladesh
বাংলাদেশ
০৯ নভেম্বর ২০১৩, ০৩:১৫
০৯ নভেম্বর ২০১৩, ০৩:৪৯
রাজনীতি
null
হরতাল ঘোষণার পর ধরপাকড়
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/69310
৭২ ঘণ্টার হরতাল ঘোষণার চার ঘণ্টার মধ্যেই ধরপাকড় শুরু করেছে পুলিশ। রাত পৌনে দুইটায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বিএনপির মোট পাঁচজন নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এর মধ্যে সন্ধ্যায় সোনারগাঁও হোটেলের সামনে থেকে বিএনপির নীতিনির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটির তিন সদস্য মওদুদ আহমদ, রফিকুল ইসলাম মিয়া এবং এম কে আনোয়ারকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর গুলশানে খালেদা জিয়ার বাসভবন থেকে বের হওয়ার পর রাত একটা ১০ মিনিটে গ্রেপ্তার করা হয় তাঁর উপদেষ্টা আবদুল আউয়াল মিন্টু ও বিএনপির চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শিমুল বিশ্বাসকে। এঁদের সবাইকে মিন্টো রোডে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কার্যালয়ে নিয়ে রাখা হয়।এ ছাড়া গত রাতেই বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায় এবং বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুকের বাসায় পুলিশ অভিযান চালিয়েছে। কিন্তু তাঁরা বাসায় ছিলেন না। রাত পৌনে দুইটায় এ খবর লেখা পর্যন্ত বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য জমির উদ্দিন সরকার ও যুবদলের সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেনের বাসা ঘেরাও করে রেখেছিল পুলিশ। এর আগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকেও আটকের জন্য চেষ্টা করা হয় বলে জানা গেছে।রাতে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কার্যালয় ও বাসার আশপাশে এবং নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। পুলিশের এমন আচরণকে অগণতান্ত্রিক বলে মন্তব্য করেছে বিএনপি।জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর প্রথম আলোকে বলেন, হরতাল করে মানুষকে খুন ও খুনের পরিকল্পনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে বিএনপির এসব নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গত বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে বলেছিলেন, যারা হরতাল ডেকে মানুষ খুন করবে, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে এবং তাদের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ আদায় করে ক্ষতিগ্রস্তদের দেওয়া হবে। এদিকে নির্দলীয় সরকারের দাবিতে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮-দলীয় জোট আগামীকাল রোববার থেকে সারা দেশে টানা ৭২ ঘণ্টার হরতাল ডেকেছে।রোববার সকাল ছয়টা থেকে হরতাল শুরু হয়ে শেষ হবে বুধবার সকাল ছয়টায়। গতকাল বিকেলে বিএনপির গুলশান কার্যালয়ে জোটের মহাসচিব পর্যায়ের বৈঠক শেষে এই হরতাল কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। নির্দলীয় সরকারের দাবিতে বিএনপির ডাকা এটাই সবচেয়ে দীর্ঘ সময়ের হরতাল। এর আগে সর্বশেষ গত ২৭ থেকে ২৯ অক্টোবর এবং ৪ থেকে ৬ নভেম্বর বিরোধী দল টানা ৬০ ঘণ্টা করে দুই দফা হরতাল পালন করে।বিভিন্ন স্থানে আজ হরতাল: মওদুদ আহমদকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ ও কবিরহাট উপজেলা, এম কে আনোয়ারকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে কুমিল্লার হোমনা ও তিতাস উপজেলা, রফিকুল ইসলাম মিয়ার নির্বাচনী এলাকা ঢাকার মিরপুরের পল্লবী ও রূপনগর থানা এলাকায় এবং এই তিন নেতার গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে ভোলায় আজ শনিবার সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে স্থানীয় বিএনপি। তবে জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা হরতালের আওতামুক্ত থাকবে।যেভাবে গ্রেপ্তার: প্রথম আলোর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল সন্ধ্যায় সোনারগাঁও হোটেলে সুধী সমাবেশের আয়োজন করা হয়। বিএনপির গ্রেপ্তার হওয়া তিন নেতাই এই অনুষ্ঠানে এসেছিলেন। তাঁরা সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা থেকে সোয়া আটটার মধ্যে পর্যায়ক্রমে রফিকুল ইসলাম মিয়া, মওদুদ আহমদ, এম কে আনোয়ার অনুষ্ঠান থেকে বের হন। সোনারগাঁও হোটেল থেকে বের হয়ে কিছুটা সামনে এগোনোর পর পুলিশ তাঁদের আটক করে। এরপর খালেদা জিয়ার সভবনের সামনে বিপুলসংখ্যক পুলিশ অবস্থান নেয়। রাত পৌনে একটার দিকে ওই বাসা থেকে বের হন আবদুল আউয়াল মিন্টু ও শিমুল বিশ্বাস। এ সময় সেখান অপেক্ষমাণ সাংবাদিকদের মিন্টু বলেন, ব্যবসায়ী সমাজের পক্ষ থেকে সংলাপের বিষয়ে কথা বলতে তিনিবিরোধীদলীয় নেত্রীর বাসায় গিয়েছিলেন। তিনি বলেন, দুই নেত্রী বা দুই দলের মহাসচিব পর্যায়ে সংলাপের উদ্যোগ নিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এ নিয়ে গত বৃহস্পতিবার ব্যবসায়ীরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন। এ বিষয়ে বিরোধী দলীয় নেত্রীর সঙ্গে কথা বলতে তিনি গত রাতে ওই বাসায় এসেছিলেন। এক প্রশ্নের জবাবে মিন্টু বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সংলাপের পথ খোলা আছে। কিন্তু এই ধরপাকড়, অত্যাচার নির্যাতন সংলাপের পথ রূদ্ধ করবে। সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার পর সেখান থেকে গুলশান অঞ্চলের পুলিশ মিন্টু ও শিমুল বিশ্বাসকে আটক করে নিয়ে।হরতাল বাড়তে পারে: এর আগে রাতেই জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেন, একতরফা নির্বাচন করতে সরকার বিএনপির নেতাদের গ্রেপ্তার করেছে। তিনি নেতাদের মুক্তির দাবি করে বলেন, আগামী তিন দিন ৭২ ঘণ্টার হরতাল কর্মসূচি রয়েছে। তাঁদের মুক্তি দেওয়া না হলে এই কর্মসূচি আরও দীর্ঘায়িত ও কঠোর হবে।ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে অবরোধ, ভাঙচুর: প্রথম আলোর সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি জানান, বিএনপির তিন নেতাকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুণ্ডু এলাকায় বিএনপির নেতাকর্মীরা গতকাল মধ্যরাতে সাতটি গাড়িতে আগুন দিয়েছে। এ সময় পুলিশের বিএনপিকর্মীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ ও গুলিবিনিময় হয়। এর আগে বাড়বকুন্ডে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে শতাধিক গাড়ি এলোপাথাড়ি দাঁড় করিয়ে রেখে সেগুলোর চাকা পাংচার করে দেওয়া হয়। ফলে মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। সীতাকুন্ড থানার উপ পরিদর্শক শাহ আলম হাওলাদার আগুন ও ভাঙচুরের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।ঢাকায় গাড়িতে আগুন: তিন নেতাকে গ্রেপ্তারের পর গতরাতে ঢাকায় বিজয়নগর, নয়া পল্টনের সিটি হার্ট মার্কেটের সামনে ও সোনারগাঁও হোটেলের সামনে তিনটি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়। মওদুদ আহমদের গুলশানের বাসভবনের সামনে দুটি ও কারওয়ান বাজারের সার্ক ফোয়ারার কাছে দুটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে। এছাড়া নয়া পল্টন এলাকায় কয়েক দফায় কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।
26,549
নীলফামারী প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
১১ ডিসেম্বর ২০১৬, ০১:৫৬
১১ ডিসেম্বর ২০১৬, ০১:৫৭
নীলফামারী,রংপুর বিভাগ,বিশাল বাংলা
0
২০৭টি বিদ্যালয়ে প্রথম দিনের পরীক্ষাস্থগিত
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1037917
নীলফামারী সদর উপজেলায় বার্ষিক পরীক্ষার প্রথম দিন গতকাল শনিবার ২০৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরীক্ষা স্থগিত রাখা হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ে প্রশ্নপত্র সরবরাহ না হওয়ায় প্রথম থেকে চতুর্থ শ্রেণির ওই পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। এতে বিদ্যালয়ে এসে পরীক্ষা দিতে না পারায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা। সদর উপজেলা শিক্ষা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার সরকারি ও বেসরকারি ২০৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম থেকে চতুর্থ শ্রেণির পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৩৮ হাজার ৭২৪। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন শিক্ষক বলেন, গতকাল থেকে জেলার ছয় উপজেলার সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল। এ পরীক্ষা চলবে ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত। পরীক্ষার জন্য শিক্ষার্থীদের রুটিনও দেওয়া হয়। ওই রুটিনে জেলার অন্যান্য উপজেলায় পরীক্ষা হলেও সদর উপজেলায় প্রশ্নপত্র সরবরাহ না হওয়ায় ২০৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গতকাল গণিত বিষয়ের পরীক্ষা হয়নি। ওই শিক্ষকেরা আরও বলেন, সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে আহ্বায়ক করে বার্ষিক পরীক্ষা আয়োজক কমিটি করা হয়। ওই কমিটির আহ্বায়কের প্রশ্নপত্র তৈরি করে অন্তত দুই দিন আগে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ে সরবরাহ করার কথা। কিন্তু কমিটির আহ্বায়ক সদর উপজেলার ভারপ্রাপ্ত প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা খন্দকার শরীফুল ইসলাম গত শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রশ্নপত্র সরবরাহ না করে গতকালের পরীক্ষা স্থগিত করার নির্দেশ দেন। সকালে বিদ্যালয়ে পরীক্ষা দিতে এসে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা জানতে পারেন পরীক্ষা স্থগিতের সিদ্ধান্ত। এ ঘটনায় অনেক শিক্ষার্থী ও অভিভাবক তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। জেলা শহরের থানাপাড়ার অভিভাবক রোখসানা আজিজ বলেন, ‘আমার ছেলে ইমনাম শাহ নীলফামারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র। পরীক্ষার রুটিন অনুযায়ী দুপুর দেড়টা থেকে চারটা পর্যন্ত তার গণিত বিষয়ের পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। দুপুর একটার দিকে ছেলেকে নিয়ে বিদ্যালয়ে এসে জানতে পারি, পরীক্ষা হবে না। প্রস্তুতি নিয়ে পরীক্ষা দিতে না পারায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে আমার ছেলে।’ শহরের নটখানা এলাকার অভিভাবক ববিতা সরকার ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমার মেয়ে চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ে। প্রস্তুতি নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে এসে শুনি, পরীক্ষা হবে না। এখন আমার মেয়ের যে ক্ষতি হলো, সেটা পোষাবে কেমন করে।’ তাঁদের মতো আরও কয়েকজন অভিভাবক অভিযোগ করে বলেন, দায়িত্বহীনতার কারণে শিশু শিক্ষার্থীদের এমন বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে। প্রথম দিন পরীক্ষা দিতে না পারায় শিশুদের মানসিক বিপর্যয় ঘটেছে।এ ব্যাপারে জানতে চাইলে, ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তা খন্দকার শরীফুল ইসলাম বলেন, প্রেস কর্তৃপক্ষ প্রশ্নপত্র ছাপানোর কাজ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেষ করতে না পারায় গত শুক্রবার প্রশ্ন সরবরাহ করা সম্ভব হয়নি। তবে গতকাল সকাল থেকে সরবরাহ শুরু করা হয়েছে। ফলে প্রথম দিনের গণিত বিষয়ের পরীক্ষা স্থগিত করে ওই পরীক্ষা ১৯ ডিসেম্বর নিতে বলা হয়েছে।এ ব্যাপারে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা দিলীপ কুমার বণিক বলেন, ‘আমি বিষয়টি গত শুক্রবার রাতে জানতে পেরেছি। সময়ের মধ্যে প্রশ্ন ছাপার কাজ সমাপ্ত না হওয়ার কথা জানিয়েছেন সদর উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা। এ বিষয়ে আমি তাঁর কাছে অফিশিয়ালি জানতে চেয়ে চিঠি পাঠাব।’
273,353
পটুয়াখালী অফিস
bangladesh
বাংলাদেশ
১৬ আগস্ট ২০১৪, ১৬:৪৩
১৬ আগস্ট ২০১৪, ১৬:৪৫
পটুয়াখালী,বরিশাল,সরকার
null
নৌ দুর্ঘটনা রোধে সরকার আরও কঠোর হবে
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/292480
নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান বলেছেন, নৌ দুর্ঘটনা রোধে সরকার এখন কঠোর থেকে কঠোরতর হবে। লঞ্চমালিকদের কাছে যাত্রীরা অসহায় হয়ে পড়েছে। এ ক্ষেত্রে লঞ্চমালিকদের কোনো হুমকির কাছে মাথা নত করবে না সরকার।আজ শনিবার সকালে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসকের দরবার হলে এমভি শাতিল-১ লঞ্চডুবির ঘটনায় নিহত ১৬ যাত্রীর পরিবারকে আর্থিক সহায়তার চেক হস্তান্তর করা হয়। সেখানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে নৌ-পরিবহনমন্ত্রী এসব কথা বলেন। গত ৩ মে গলাচিপার কলাগাছিয়া নদীতে লঞ্চটি ডুবে যায়।শাজাহান খান বলেন, নৌপথে চলাচলের অনুমতির শর্ত অমান্য করে লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই করা হচ্ছে। এ ছাড়া অদক্ষ চালক দিয়ে লঞ্চ চালানোর কারণেও দুর্ঘটনা  ঘটছে। এভাবে চলতে দেওয়া যায় না। মন্ত্রী  আরও বলেন, বিগত সরকারের আমলে নৌপথে  সিন্ডিকেট করে লঞ্চ চলাচলে রোটেশন পদ্ধতি চালু করা হয়েছিল। এ কারণে লঞ্চ দুর্ঘটনা বেড়ে গিয়েছিল। কিন্তু বর্তমান সরকার লঞ্চ দুর্ঘটনা কমিয়ে আনতে সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছে। তিনি বলেন, লঞ্চ দুর্ঘটনার পর বিভিন্ন সময়ে তদন্ত প্রতিবেদনে অতিরিক্ত যাত্রী ও  চালকের অদক্ষতার কথা বলা হয়েছে।  লঞ্চমালিকদের খামখেয়ালি আর মেনে নেওয়া হবে না।শাজাহান খান বলেন, মাওয়ায় লঞ্চডুবির ঘটনায় একটি মহল তাঁর পদত্যাগ চেয়েছিল। কোনো মহলের কাছে মাথা নত না করে দুর্ঘটনাকবলিত লঞ্চ এবং হতাহতদের উদ্ধারে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। এতে কোনো ধরনের গাফিলতি করা হয়নি বলে তিনি দাবি করেন। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান শামসুদ্দোহা খন্দকার বলেন, তাঁদের বিভিন্ন পদক্ষেপের কারণে নৌ-দুর্ঘটনা আগের চেয়ে কমে এসেছে। তবে লঞ্চমালিক, চালক ও যাত্রীরা সচেতন হলে লঞ্চ দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব। পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক অমিতাভ সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ, পটুয়াখালী-৪ আসনের সাংসদ মাহবুবুর রহমান তালুকদার, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাংসদ লুত্ফুন্নেছা বেগম, জেলা প্রশাসক খান মোশাররফ হোসেন, পুলিশ সুপার রফিকুল হাসান গনি।
85,373
নিজস্ব প্রতিবেদক
bangladesh
বাংলাদেশ
১০ মে ২০১৪, ০২:৪৭
১০ মে ২০১৪, ১৫:৫১
নারায়ণগঞ্জ,ঢাকা বিভাগ
null
‘ইজ্জতের রশি’ দিয়ে লাশ বাঁধা
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/212605
নদী এলাকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের অস্ত্র নিয়ে চলাচলের সময় সঙ্গে রশি রাখতে হয়। সেই রশির এক মাথায় অস্ত্র বাঁধা থাকে, যাতে পানিতে পড়ে গেলে রশি দিয়ে হদিস মেলে। পুলিশ সদস্যরা রসিকতা করে বলেন, ‘ইজ্জতের রশি।’ পুলিশ প্রবিধানের ৯৬১ ধারা অনুসারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে সরকারি-ভাবে এ রশি সরবরাহ করা হয়।নারায়ণগঞ্জের ওয়ার্ড কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম ও আইনজীবী চন্দন কুমার সরকারসহ সাত খুনের মামলার তদন্তের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, নিহত ব্যক্তিদের শরীরের সঙ্গে ইটভরা বস্তাগুলো এ ধরনের রশি দিয়ে বাঁধা ছিল।সাত খুনের মামলা তদন্ত করছে নারায়ণগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক মামুনুর রশিদ মণ্ডল। তদন্তের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে তদন্তের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র প্রথম আলোকে জানায়, তদন্তকারী কর্মকর্তারা ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ আদালত থেকে সাদাপোশাকে অস্ত্রসহ আটক হওয়া র‌্যাব সদস্য মোস্তফা কামালকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন।নিহত নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম অভিযোগ করেন, র‌্যাব সদস্যরা আগে থেকেই নজরুলকে নজরে রাখছিলেন। নজরুলের আদালতে হাজিরার দিন ২৭ এপ্রিল আদালতের ভেতরে র‌্যাবের একজন সদস্য সাদাপোশাকে অস্ত্র নিয়ে ঘোরাফেরা করার সময় নজরুলের লোকজন সন্দেহবশত আটক করেছিলেন। পরে র‌্যাবের পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর লোকটিকে ছেড়ে দেওয়া হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ওই সদস্যের নাম ও পরিচয় পেয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নোটিশ দেন। গত বৃহস্পতিবার তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে মোস্তফা কামাল সব অভিযোগ অস্বীকার করেন বলে জানা গেছে। নারায়ণগঞ্জ পুলিশের একটি সূত্র জানায়, সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পুলিশ ২৭ এপ্রিল দিবাগত রাত তিনটার দিকে একটি মাইক্রোবাসসহ তিনটি গাড়িকে তল্লাশির জন্য রাস্তায় থামায়। তিনটি গাড়ির সামনের গাড়িতে ছিলেন র‌্যাব-১১-এর সাবেক অধিনায়ক লে. কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মাদ। পেছনের গাড়িতে ছিলেন মেজর আরিফ হোসেন। র‌্যাবের অধিনায়ক গাড়ি থেকে নেমে টহল পুলিশকে জানান, তাঁরা বিশেষ অভিযানে যাচ্ছেন। এরপর পুলিশ গাড়িগুলো ছেড়ে দেয়। পুলিশ সদস্যরা জানান, গাড়িগুলো নারায়ণগঞ্জের নদীর পাড় দিয়ে চলে যায়। ৪৫ মিনিট পরে আবার সেগুলো র‌্যাব কার্যালয়ের দিকে চলে যায়। ওই তিনটি গাড়ি নিয়ে নানা সন্দেহ তদন্ত-সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের।এর আগে হত্যাকাণ্ডে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে চাকরি হারানো র‌্যাব-১১-এর অধিনায়ক তারেক সাঈদ, মেজর আরিফ হোসেন ও লে. কমান্ডার এম এম রানাকে অকালীন ও বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়া হয়। তাঁরা এখনো সেনানিবাসে আছেন বলে গেছে। সেনা সদর দপ্তরের প্রজ্ঞাপন অনুসারে এসব কর্মকর্তা সব ধরনের সুবিধা পাবেন। এ কারণে তাঁরা অবসর প্রস্তুতিকালীন ছুটি ভোগ করবেন এক বছর।২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড কাউন্সিলর নজরুলসহ সাতজনকে অপহরণ করা হয়। তিন দিন পর শীতলক্ষ্যা নদীতে তাঁদের ছয়জনের এবং পরদিন একজনের লাশ ভেসে ওঠে।
72,057
নিজস্ব প্রতিবেদক
bangladesh
বাংলাদেশ
১১ সেপ্টেম্বর ২০১৫, ১৭:৪১
১১ সেপ্টেম্বর ২০১৫, ১৭:৪২
আইন ও বিচার
null
আনসারুল্লাহ প্রধানসহ তিনজন সাত দিনের রিমান্ডে
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/628663
ব্লগার অভিজিৎ রায় হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার সন্দেহভাজন তিন জঙ্গির সাত দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। ঢাকার মহানগর হাকিম শাহরিয়ার মাহমুদ আদনান আজ শুক্রবার এ আদেশ দেন।রিমান্ড পাওয়া এ আসামিরা হলেন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের প্রধান মো. আবুল বাশার, সংগঠনটির গণমাধ্যম শাখার দায়িত্ব পালনকারী জুলহাস বিশ্বাস ও জাফরান আল হাসান। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটার দিকে রাজধানীর ফকিরাপুল এলাকা থেকে ওই তিনজনকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব।মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক ফজলুর রহমান আজ বিকেলে ওই তিন আসামিকে আদালতে হাজির করে ১০ দিন করে রিমান্ডের আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত তিনজনেরই সাত দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।চলতি বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি দুর্বৃত্তরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ব্লগার ও লেখক অভিজিৎ রায়কে হত্যা করে।
167,767
বিনোদন প্রতিবেদক
entertainment
বিনোদন
০৭ এপ্রিল ২০১৬, ০০:২০
০৭ এপ্রিল ২০১৬, ০০:২০
বিনোদন,টেলিভিশন
0
নাটকে সাবার বিয়ে!
http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/821962
দীপ্ত টিভির শুটিং সেটে ঢুঁ মারতেই শোনা গেল অভিনেত্রী সোহানা সাবার বিয়ের খবর। শুনে তো রীতিমতো হতবাক! তাহলে কি কাউকে না জানিয়ে চুপি চুপি আবার বিয়ের পিঁড়িতে বসলেন সাবা। কিছুদিন আগেই তো সাবা ও মুরাদ পারভেজের বিচ্ছেদ ঘটেছে। সাবা বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন ঠিক, তবে এটা একটি ধারাবাহিক নাটকের শুটিংয়ের প্রয়োজনে। নাটকটির নাম খেলাঘর। পর্দায় তাঁর স্বামী চরিত্রে অভিনয় করছেন নিলয় আলমগীর। নাটকটি রচনা করেছে দীপ্ত টিভি ক্রিয়েটিভ টিম। ধারাবাহিকটি পরিচালনা করেছেন হাবিব মাসুদ।নাটকের এই বিয়ে নিয়ে সোহানা সাবা বলেন, ‘এক সাধারণ পরিবারের মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করছি আমি; ঢাকায় আসার পর হঠাৎ করেই ধনী এক ছেলের সঙ্গে যার বিয়ে হয়ে যায়। সেই মেয়েটির জীবনের নানা ধরনের সংগ্রামই এই নাটকটিতে দেখানো হয়েছে।’ কথা হলো নিলয়ের সঙ্গে। তিনি জানান, তাঁর চরিত্রটির নাম ফারহান, যে বিয়ে নিয়ে মনোদ্বন্দ্বে ভোগে।পরিচালক জানালেন, ‘এটা একদমই আমাদের চারপাশের গল্প। একটি পরিবারের প্রত্যাশা ও ত্যাগের বিষয়গুলো দেখানো হয়েছে।’ ২৫ পর্বের এই নাটকটি রোজার ঈদ থেকে প্রচারের পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানালেন নাটকটির নির্বাহী প্রযোজক মোস্তফা মনন। দীপ্ত টিভির নিজস্ব সেটে নাটকটির দৃশ্য ধারণ চলছে। নাটকটিতে আরও অভিনয় করছেন রাইসুল ইসলাম আসাদ, সাবেরি আলম, ঈশানা, নরেশ ভুইঞা প্রমুখ।
218,147
অনলাইন ডেস্ক
sports
খেলা
২০ সেপ্টেম্বর ২০১৫, ১৮:০২
২০ সেপ্টেম্বর ২০১৫, ১৮:০৩
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট
null
সিরিজ হারাল সৌম্য-নাসিররা
http://www.prothom-alo.com/sports/article/637234
একক কৃতিত্বে সিরিজে সমতা ফিরিয়ে এনেছিলেন নাসির। কিন্তু সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে আর পারলেন না নাসির। টপ অর্ডারের ব্যর্থতায় অসহায় আত্মসমর্পণ করল বাংলাদেশ 'এ' দল। বেঙ্গালুরুতে সিরিজের শেষ খেলায় বৃষ্টি আইনে ৭৫ রানে বাংলাদেশ 'এ' দলকে (২-১) হারিয়ে সিরিজ জিতে নিল ভারত 'এ' দল।টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল স্বাগতিক দল। মাত্র পাঁচ রানের মাথায় ওপেনার মায়াঙ্ক আগারওয়ালকে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন শফিউল ইসলাম। কিন্তু অধিনায়ক উন্মুক্ত চাঁদকে সঙ্গীকে করে ৮২ রানের জুটি গড়েন সঞ্জু স্যামসন। ৮৭ রানের মাথায় অধিনায়ক ফিরে গেলে ব্যাটিংয়ে নামেন সুরেশ রায়না। এই দুজনে মিলে দলকে দুই শ পার করান মাত্র ৩৯ ওভারেই। ৯০ রান করে স্যামসন আউট হলেও দলকে তিনশর দোরগোড়ায় নিয়ে যান রায়না। মাত্র ৯৪ বলে ১০৪ রান করে দলকে ২৯৭ রানের বিশাল এক সংগ্রহ এনে দেন তিনি।রান তাড়া করতে গিয়ে আবারও বিপদে পড়ে সফরকারী দল। মাত্র ২৪ রানের মাঝেই দলের প্রথম তিন ব্যাটসম্যান ফিরে গেলে ম্যাচের ফলাফল নিয়ে প্রশ্নটা উবে যায়। এর মাঝে বৃষ্টির কারণে টার্গেটেও আসে পরিবর্তন। ৪৬ ওভারে ২৯০ রানে তাড়া করতে গিয়ে অবশ্য বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ে। আগের দুই খেলার মতো আজও ১০০ রান পার করার আগেই পাঁচ উইকেট হারিয়েছে 'এ' দল। অধিনায়ক মুমিনুল হক ৩৭ রান করেছেন। আর সাব্বির রহমান সফরে প্রথমবারের মতো ফর্মে ফেরার ইঙ্গিত দিলেও ম্যাচ জেতা থেকে অনেক দূরেই ছিলেন তাঁরা। ৩২ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৪১ রান তুলতেই আবারও নামে বৃষ্টি। সাব্বির তখন অপরাজিত ৪১ রানে। কিন্তু বৃষ্টির প্রকোপে আর খেলা আরম্ভ হতে পারেনি। ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতিতে ৭৫ রানে বিজয়ী ঘোষণা করা হয় ভারতীয় দলকে।ওয়ানডে সিরিজের পর এবার দুটি তিন দিনের ম্যাচ খেলবে 'এ' দল। অস্ট্রেলিয়া সিরিজের আগে দীর্ঘ পরিসরের প্র্যাকটিসটা সেরে নিতে পারবেন তাঁরা। আগামী মঙ্গল বার মাইসোরে কর্ণাটকের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচটি খেলবে মুমিনুলরা।
170,370
গাইবান্ধা প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
০৪ মার্চ ২০১৪, ০১:৪২
০৪ মার্চ ২০১৪, ০১:৫২
দূর্ঘটনা
0
২৫ জন আহত
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/160428
গাইবান্ধা জেলা শহরের অদূরে পুলবন্দী ফলিয়া স্থানে গতকাল সোমবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে বনভোজনের একটি বাস উল্টে মাদ্রাসার দুই শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে শিক্ষকসহ অন্তত ২৫ শিক্ষার্থী।নিহত শিক্ষার্থীরা হচ্ছে জেলার ফুলছড়ি উপজেলার কঞ্চিপাড়া গ্রামের সুজা মিয়ার ছেলে রাফিক মিয়া (১৪) ও আহসান আলীর ছেলে মোকছেদ মিয়া ওরফে হাসান (১৪)। দুই শিশুই ফুলছড়ির খবিরিয়া দাখিল মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণীতে পড়ত।গাইবান্ধার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোশারফ হোসেন দুর্ঘটনায় দুজন নিহত ও ২৫ জন আহত হওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।পুলিশ, আহত যাত্রী ও প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন জানান, গতকাল সকাল আটটার দিকে খবিরিয়া দাখিল মাদ্রাসার ১০৭ জন শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মচারী দুটি বাস ভাড়া করে দিনাজপুরের বিনোদনকেন্দ্র স্বপ্নপুরীতে যান। বনভোজন শেষে সেখান থেকে ফেরার পথে একটি বাস গাইবান্ধা শহরে যাত্রাবিরতি করে। অপর বাসটি (ঢাকা-মেট্রো-জ-২৮৯৩) গাইবান্ধা শহর থেকে রাত নয়টা ২৫ মিনিটে ফুলছড়ির কঞ্চিপাড়া গ্রামের দিকে রওনা দেয়। রাত সাড়ে নয়টার দিকে শহর থেকে এক কিলোমিটার দূরে গাইবান্ধা-বালাসী সড়কের পুলবন্দী ফলিয়া স্থানে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাক্টরকে (স্থানীয়ভাবে যানবাহনটি কাঁকড়া নামে পরিচিত) অতিক্রম করার সময় বাসচালক নিয়ন্ত্রণ হারান। বাসটি উল্টে সড়কের পাশে খাদে পড়ে যায়। বাসের নিচে চাপা পড়ে ঘটনাস্থলে রাফিক ও মোকছেদ মারা যায়। আহত হয় ২৫ শিক্ষার্থী ও শিক্ষক। তাদের গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে পাচজনের অবস্থা গুরুতর।খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন ও গাইবান্ধা শহর থেকে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার অভিযান শুরু করেন। রাত ১১টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তাঁরা বাসটি উদ্ধার করতে পারেননি। এদিকে দুর্ঘটনার পর বাসের চালক ও তাঁর সহকারী পালিয়ে যান।খবর পেয়ে গাইবান্ধার জেলা প্রশাসক মো. এহছানে এলাহী ও পুলিশ সুপার মোফাজ্জেল হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং আহতদের দেখতে হাসপাতালে যান। দুর্ঘটনায় আহত খবিরিয়া দাখিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক মোস্তাফিজার রহমান ও মাসুদ মিয়া বলেন, প্রতিবছরের মতো এবারও তাঁরা শিক্ষার্থীদের নিয়ে বনভোজন করতে স্বপ্নপুরীতে যান। রাত নয়টা ২৫ মিনিটে গাইবান্ধা শহর থেকে রওনা দেন। তিন কিলোমিটার পরেই ছিল সবার বাড়ি। কিন্তু বাসটি পুলবন্দী ফলিয়া এলাকায় পৌঁছালে চালক সামনে একটি যানবাহনের আলো দেখতে পান। কিছু বুঝে ওঠার আগেই সবাই হইচই শুরু করে। শিক্ষকেরা জানান, গাইবান্ধা-বালাসি সড়কটি খুব সরু। পুলবন্দী ফলিয়া এলাকায় দুর্ঘটনাস্থলের পাশেই ছিল একটি খাল। বাস উল্টে খালে পড়ায় এতজন হতাহত হয়েছে।দুর্ঘটনায় আহত দশম শ্রেণীর ছাত্র আবদুর রাজ্জাক বলে, ‘চালক দ্রুতগতিতে বাস চালাচ্ছিল। হঠাৎ বাসটি কীভাবে উল্টে গেল বুঝলাম না। আমরা বাসের নিচ থেকে চিৎকার করছিলাম। পরে লোকজন এসে আমাদের হাসপাতালে নিয়ে আসে।’
55,707
-1
international
আন্তর্জাতিক
০৪ অক্টোবর ২০১৩, ০০:৪৬
০৪ অক্টোবর ২০১৩, ০০:৪৭
আরব বিশ্ব
0
সিরিয়ায় কাজ শুরু করেছেন রাসায়নিক অস্ত্র বিশেষজ্ঞরা
http://www.prothom-alo.com/international/article/52727
সিরিয়ার রাসায়নিক অস্ত্র ধ্বংস বিষয়ে জাতিসংঘ প্রস্তাব বাস্তবায়নের দায়িত্ব পাওয়া বিশেষজ্ঞরা গতকাল বৃহস্পতিবার মাঠপর্যায়ে কাজ শুরু করেছেন। এদিকে গৃহযুদ্ধপীড়িত দেশটিতে আটকা পড়া বেসামরিক লোকজনের সহায়তায় তাদের কাছে যাওয়ার ‘বাধাহীন প্রবেশাধিকার’ চেয়েছে জাতিসংঘ।নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগভিত্তিক অর্গানাইজেশন ফর দি প্রহিবিশন অব কেমিক্যাল ওয়েপনস-এর (ওপিসিডব্লিউ) নিরস্ত্রীকরণবিষয়ক নয়জন বিশেষজ্ঞকে গতকাল দামেস্কে তাঁদের হোটেল থেকে বেরিয়ে যেতে দেখা গেছে। তবে তিনটি গাড়িতে করে বের হওয়ার পর তাঁরা কোথায় যান, সেটা জানা যায়নি।ওপিসিডব্লিউর এই বিশেষজ্ঞ দলটিতে মোট ১৯ জন সদস্য রয়েছেন। তাঁরা সিরিয়ার প্রাণঘাতী রাসায়নিক অস্ত্রভান্ডার ধ্বংস করার বিষয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে পাস হওয়া প্রস্তাবটি বাস্তবায়নের বিষয় তদারক করছেন। গত ২১ আগস্ট দামেস্কের কাছের একটি এলাকায় সারিন গ্যাস হামলার ঘটনায় শত শত লোক নিহত হওয়ার ওপর নিরাপত্তা পরিষদে ওই প্রস্তাবটি সর্বসম্মতভাবে পাস হয়। ওই রাসায়নিক হামলার জের ধরেই সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ সরকারের বিরুদ্ধে সামরিক হামলার হুমকি দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র।প্রেসিডেন্ট বাশারের সরকার সারিন ও মাস্টার্ড গ্যাসসহ এক হাজারের বেশি টন বিভিন্ন ধরনের নিষিদ্ধ গ্যাস মজুত করে রেখেছে বলে ধারণা করা হয়। ওপিসিডব্লিউর বিশেষজ্ঞ দলটির লক্ষ্য হচ্ছে, চলতি অক্টোবরের শেষ বা নভেম্বরের শুরু নাগাদ সিরিয়ার রাসায়নিক অস্ত্র উৎপাদনের কেন্দ্রগুলোকে নিষ্ক্রিয় করে ফেলা। সংস্থাটির ইতিহাসে এই প্রথম তারা গৃহযুদ্ধপীড়িত কোনো দেশে রাসায়নিক অস্ত্র ধ্বংসের মিশন নিয়েছে।এদিকে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ বুধবার সিরিয়ায় আটকে পড়া বেসামরিক লোকজনদের কাছে পৌঁছাতে ‘বাধাহীন প্রবেশাধিকার’ দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছে। নিরাপত্তা পরিষদের কূটনীতিকেরা জানিয়েছেন, বিবৃতিটি বাধ্যতামূলক নয়। তবে সিরিয়ায় হতাহতের সংখ্যা ও মানবিক বিপর্যয় অব্যাহতভাবে বেড়ে চলার প্রেক্ষাপটে এটি প্রেসিডেন্ট বাশারকে একটা শক্ত বার্তা দেবে।আল-কায়েদার অনুসারীদের শহর ছাড়ার আহ্বান: সিরিয়ার সরকারি বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াইরত বিদ্রোহীদের ছয়টি গুরুত্বপূর্ণ ইসলামপন্থী সংগঠন গতকাল একটি যৌথ বিবৃতি দিয়েছে। এতে তুরস্ক-সীমান্তবর্তী সিরীয় শহর আজাজ থেকে আল-কায়েদার অনুসারী ইসলামিক স্টেট অব ইরাক অ্যান্ড দি লিভান্ট-এর (আইএসআইএল) যোদ্ধাদের সরে যাওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। আইএসআইএল বর্তমানে বিদ্রোহীদের অধিকৃত এলাকাগুলো নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার চেষ্টা করছে। এএফপি।
21,719
গাইবান্ধা প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
১৯ জুন ২০১৬, ০১:৪৯
১৯ জুন ২০১৬, ০১:৫০
বিশাল বাংলা
0
পুলিশের সঙ্গে ইমামদের জঙ্গিবিরোধী সভা
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/892351
গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার বোনারপাড়া কাজী আজহার আলী উচ্চবিদ্যালয় মাঠে গতকাল শনিবার সন্ত্রাস ও জঙ্গি প্রতিরোধ বিষয়ে পুলিশের সঙ্গে স্থানীয় ইমামদের এক মতবিনিময় সভা হয়েছে। ওই মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন সাঘাটা থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান। বক্তব্য দেন রংপুর রেঞ্চের বিভাগীয় পুলিশ কমিশনার (ডিআইজি) খন্দকার গোলাম ফারুক, পুলিশ সুপার মো. আশরাফুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মিজানুর রহমান, ইউএনও মো. সফিউজ্জামান ভুঁইয়া, গাইবান্ধা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক মাজহারুল মান্নান, ইমামদের পক্ষে মতিউর রহমান প্রমুখ।
233,669
-1
sports
খেলা
২০ নভেম্বর ২০১৫, ০২:৪৯
২০ নভেম্বর ২০১৫, ০২:৫০
খেলা,আন্তর্জাতিক ফুটবল
null
গোলরক্ষকের গোল
http://www.prothom-alo.com/sports/article/688933
খেলার তখন আর বেশি বাকি নেই, এমন সময় গোলরক্ষক দেখলেন লাল কার্ড। তিন খেলোয়াড় বদল করা হয়ে গেছে আগেই, বাধ্য হয়েই মাঠের একজনকে হাতে গ্লাভস পরতে হলো। এটুকু পর্যন্ত গল্পটা ঠিকই ছিল। কিন্তু এর পর যা ঘটল, সেটিকে চমক বললেও কম বলা হবে। গোলরক্ষক হিসেবে যে মিডফিল্ডার দাঁড়ালেন, তাঁর গোলেই ম্যাচের একদম অন্তিম মুহূর্তে এল জয়! অবিশ্বাস্য এ ঘটনাই ঘটেছে এফএ কাপের দ্বিতীয় রাউন্ডে। হের্ন বের বিপক্ষে ম্যাচে বুরি টাউনের গোলরক্ষক লাল কার্ড দেখেন ৯১ মিনিটে। মিডফিল্ডার ক্রেগ নার্সই তখন দাঁড়ান গোলপোস্টের নিচে। কিন্তু ৯৪ মিনিটে কর্নার থেকে সেই নার্সই গোল করে বসলেন। পরে সমর্থকেরা তাঁকে নিয়ে এমনই উল্লাস করতে শুরু করলেন যে আলিঙ্গনের ঠেলায় আরেকটু হলে নার্স মরতে বসেছিলেন! ইএসপিএন।
175,929
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
bangladesh
বাংলাদেশ
০৭ ডিসেম্বর ২০১৫, ০২:০৪
০৭ ডিসেম্বর ২০১৫, ০২:০৪
চট্টগ্রাম,চট্টগ্রাম বিভাগ,আইন ও বিচার
0
জামিন পেলেন দুই আসামি
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/705043
চট্টগ্রামে যুবলীগ নেতা মেহেদি হাসান ওরফে বাদল হত্যা মামলার দুই আসামি জামিন পেয়েছেন। গতকাল রোববার অতিরিক্ত চট্টগ্রাম মুখ্য মহানগর হাকিম নুরুল আলম মোহাম্মদ নিপুর আদালতে আসামিরা আত্মসমপর্ণ করে জামিনের আবেদন করলে শুনানি শেষে আদালত তাঁদের জামিন মঞ্জুর করেন। দুই আসামি হলেন আবদুল খালেক ও নুরুল আলম।নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) কাজী মুত্তাকী ইবনু মিনান বলেন, মেহেদি হত্যা মামলার দুই আসামি আত্মসমপর্ণ করে জামিনের আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে জামিনের বিরোধিতা করা হয়। আদালত তাঁদের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।গত ১ সেপ্টেম্বর রাতে নগরের বায়েজিদ বোস্তামী থানার সাংবাদিক হাউজিং সোসাইটি এলাকায় দুর্বৃত্তদের গুলিতে মারা যান মেহেদি।
181,149
তারেক মাহমুদ, সেন্ট কিটস থেকে
sports
খেলা
০২ সেপ্টেম্বর ২০১৪, ০২:০৬
০২ সেপ্টেম্বর ২০১৪, ০২:১০
খেলা,আন্তর্জাতিক ক্রিকেট
0
এখনো চোখ ভিজে যায় টনিটোর
http://www.prothom-alo.com/sports/article/307912
লেখার শিরোনামটা দেখে নিশ্চয়ই ধন্দে পড়ে গেছেন—টনিটোটা আবার কে? ধন্দে পড়ার মতোই ব্যাপার। মহাসমুদ্রের মতো ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটে টনিটো উইলেট যে খড়কুটোর মতোই এক চরিত্র! নেভিসের ৩১ বছর বয়সী এই যুবকের আপাতত পরিচয় তিনি সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস জাতীয় দলের একজন অলরাউন্ডার। খেলেছেন কাল শেষ হওয়া বাংলাদেশের বিপক্ষে তিন দিনের প্রস্তুতি ম্যাচে।তবে টনিটোকে নিয়ে লেখার কারণ ওই ম্যাচ নয়। বল হাতে ১ উইকেট নিয়েছেন, ব্যাট হাতে করেছেন ২১ রান। ক্রিকেটীয় বিবেচনায় তাঁকে নিয়ে লিখতে বসার তাই কোনো কারণ নেই। এ লেখায় টনিটোর আগমন বুকে গভীর ক্ষত বয়ে বেড়ানো এক বন্ধু হিসেবে। একজন অতৃপ্ত সন্তান হিসেবেও।রুনাকো মর্টনের কথা মনে আছে নিশ্চয়ই। সেই যে ২০১২ সালের ৪ মার্চ ত্রিনিদাদের পোর্ট অব স্পেনে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেলেন। মাত্র ৩৩ বছর বয়সেই নিভে গেল একজন ক্রিকেটারের জীবনপ্রদীপ। বয়সে পাঁচ বছরের ছোট হলেও টনিটো উইলেট ছিলেন সেই রুনাকোর ঘনিষ্ঠতম বন্ধু। টনিটোর ভাষায়, ‘আমরা ছিলাম দুই ভাইয়ের মতো। একই বাবা-মায়ের সন্তান হলে যে রকম রক্তের সম্পর্ক থাকে, আমাদের সম্পর্ক অনেকটা সে রকমই ছিল।’ কথাগুলো বলার সময় একটু টলমল করে উঠল টনিটোর চোখ! তখনই খেয়াল করলাম, রুনাকোর চেহারার সঙ্গেও অনেক মেলে টনিটোর চেহারা।সড়ক দুর্ঘটনায় একবারেই স্তব্ধ হয়ে গেলেও এর আগেও রুনাকোর ক্রিকেট ক্যারিয়ার বাধাগ্রস্ত হয়েছে বারবার। ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিসের সর্বশেষ প্রতিনিধি নেভিসের এই ক্রিকেটার। আট বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে ১৫টি টেস্ট ছাড়াও খেলেছেন ৫৬টি ওয়ানডে আর ৭টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। কিন্তু একটানা খেলে যেতে পারেননি কখনোই।শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে ২০০১ সালে গ্রেনাডার সেন্ট জর্জ ক্রিকেট একাডেমি থেকে বহিষ্কৃত রুনাকোর নিয়ম ভাঙার অভ্যাস যায়নি জাতীয় দলে এসেও। ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে প্রথম ডাক পান ২০০২ সালের ফেব্রুয়ারিতে চোটগ্রস্ত মারলন স্যামুয়েলসের জায়গায়। কিন্তু দাদির মৃত্যু নিয়ে মিথ্যা বলায় ওই বছরেরই সেপ্টেম্বরে তাঁকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়। হঠাৎ দাদি মারা যাওয়ার কথা বলে শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠানরত চ্যাম্পিয়নস ট্রফি থেকে দেশে চলে এসেছিলেন। পরে জানা যায়, তাঁর দুই দাদির একজন ১৬ বছর আগেই মারা গেছেন। অন্যজন বহাল তবিয়তে বেঁচে আছেন। এই বহিষ্কারাদেশ কাটিয়ে ফিরেই রুনাকো ঝামেলায় জড়ান আবারও। এবারের অভিযোগ আরও গুরুতর। ২০০৪ সালের জানুয়ারিতে এক জ্ঞাতি ভাইকে ছুরিকাঘাত করার দায়ে গ্রেপ্তার করা হয় তাঁকে।রুনাকোর জন্য ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের দরজা তার পরও বন্ধ হয়নি। ২০০৫ সালের মে মাসে তৃতীয়বারের মতো সুযোগ দেওয়া হয় তাঁকে। এই যাত্রা নতুন কোনো বিতর্কে না জড়ালেও উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে চলতে থাকে রুনাকোর ক্যারিয়ার। ওয়ানডেতে করা দুটি সেঞ্চুরিই এসেছে এর পরে, ওয়ানডেতে সবচেয়ে ধীরগতির (৩১ বল) ডাক মারার রেকর্ডটাও।কিন্তু এই যে এমন বিতর্কময় ক্যারিয়ার, বন্ধু টনিটোর চোখে এসবই ‘মিছে অভিযোগ।’ পরশু প্রস্তুতি ম্যাচের দ্বিতীয় দিন শেষে রুনাকোকে নিয়ে বিতর্কের কথা তুলতেই এই প্রতিবেদককে থামিয়ে দিয়ে বলতে লাগলেন, ‘রুনাকো ছিল আমার চেয়ে পাঁচ বছরের বড়। ক্লাব ক্রিকেট এবং প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটেও আমরা একসঙ্গে খেলেছি। আমাকে যদি জিজ্ঞেস করা হয়, আমি বলব খুবই ভালো মানুষ ছিল সে। খুবই উদার মনের মানুষ ছিল। অনেকে তাকে আক্রমণাত্মক আর বদমেজাজি মনে করত। তবে যারা তার ঘনিষ্ঠ ছিল, তারা জানে কী অসাধারণ মানুষ ছিল রুনাকো।’ টনিটোর মতে, স্পষ্টবাদী চরিত্রের কারণেই বারবার বিতর্কে জড়িয়েছে তাঁর প্রিয় বন্ধু, ‘সে যেটা সঠিক মনে করত, সেটাই করত। সে জন্যই হয়তো অনেকে তাকে ভুল বুঝত।’রুনাকোর সঙ্গে সম্পর্কের টানটা এখনো যেন টের পান টনিটো। সে জন্যই হয়তো বন্ধুর মা-বোন আর ছয় সন্তানের খোঁজখবর নেন নিয়মিত। বন্ধুর কথা মনে হলে ভিজে ওঠে চোখ, ‘খেলার মাঠে তাকে অনেক মিস করি। যখনই তার কথা মনে হয়, আমার কান্না চলে আসে।’টনিটো কথাগুলো বললেন কাঁপা কাঁপা কণ্ঠে। তবে দ্রুত প্রসঙ্গান্তরে চাপা পড়ে যায় তা। টনিটোর কথায় তখন অতৃপ্তি আর নিজের ওপর ক্ষোভ। সে প্রসঙ্গে যাওয়ার আগে তাঁর অন্য পরিচয়টা বলে নেওয়া যাক। টনিটোর জন্ম নেভিসের এক ক্রিকেট পরিবারে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের উত্তরাঞ্চলের ১৯টি ছোট ছোট দ্বীপ নিয়ে গঠিত লিওয়ার্ড আইল্যান্ডসের প্রথম টেস্ট ক্রিকেটার হিসেবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে জায়গা পেয়েছিলেন টনিটো উইলেটের বাবা এলকুইমেডো উইলেট। ১৯৭৩-৭৪ মৌসুমে রোহান কানহাই ও ক্লাইভ লয়েডের নেতৃত্বে অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের বিপক্ষে পাঁচটি টেস্ট খেলেছেন বাঁহাতি স্পিনার এলকুইমেডো।বাবার মতো ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে খেলার স্বপ্ন কি ছিল না টনিটোরও? হতাশা সেই স্বপ্ন পূরণ না হওয়াতেই, ‘আমারও স্বপ্ন ছিল বাবার মতো একদিন ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে টেস্ট খেলব, কিন্তু সে স্বপ্নটা পূরণ করতে পারিনি। আমি এখন শুধু চেষ্টা করছি প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ভালো পারফর্ম করতে।’ তবে যতটুকু এসেছেন, তার পেছনে পুরো কৃতিত্বই দিলেন বাবাকে, ‘বাবা আমাকে এখনো অনেক উৎসাহ দেন। আমার সামনে বাবাই ছিলেন সবচেয়ে বড় আদর্শ।’বাবা এখনো পাশেই আছেন। শুধু নেই বন্ধু রুনাকো মর্টন, যাঁর স্মৃতি এখনো কাঁদায় টনিটোকে।
89,973
আব্দুল কাইয়ুম
technology
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
০৫ মে ২০১৯, ০০:০৫
০৫ মে ২০১৯, ০৯:৪৫
গণিত ধাঁধা,আব্দুল কাইয়ুম
null
সংখ্যাটি কত?
http://www.prothom-alo.com/technology/article/1592216
গণিতে কিছু সমস্যার সমাধান ঝটপট বের করে ফেলা যায়। যেমন ধরুন প্রশ্ন করলাম, ৯৫–এর বর্গ কত? ক্যালকুলেটর ব্যবহার না করেই এর বর্গ বের করুন তো? এর উত্তরের জন্য প্রথমে লক্ষ্য করব এটি দুই অঙ্কের (ডিজিট) একটি সংখ্যা, যার শেষ অঙ্কটি ৫। এ ক্ষেত্রে একটি সহজ পদ্ধতি হলো প্রথম অঙ্ক ৯-কে এর সঙ্গে ১ যোগ করে প্রাপ্ত সংখ্যা ১০ দিয়ে গুণ করে লিখে এরপর ৫-এর বর্গ ২৫ বসিয়ে দেওয়া। তাহলেই ৯৫-এর বর্গ পাব। এখানে (৯×১০) = ৯০। সুতরাং ৯৫-এর বর্গ = (৯৫×৯৫) = ৯০২৫। এটা শুধু দুই অঙ্কের সেই সংখ্যাগুলোর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, যেখানে শেষ অঙ্কটি ৫। এই সূত্র ব্যবহার করে বলা যায়, (৮৫×৮৫) = (৮×৯) এর পর ২৫ = ৭২২৫। (৩৫×৩৫) = ১২২৫ ইত্যাদি।শুধু যোগ করে বর্গ বের করার একটি মজার সূত্র দেখুন।১-এর বর্গ = (০ + ১ + ০) = ১ = (১ × ১)২-এর বর্গ = (১ + ২ + ১) = ৪ = (২ × ২)৩-এর বর্গ = (১ + ২ + ৩ + ২ + ১) = ৯ = (৩× ৩)৪-এর বর্গ = (১ + ২ + ৩ + ৪ + ৩ + ২ + ১) = ১৬ = (৪×৪) ৯-এর বর্গ = (১ + ২ + ৩ + ৪ + ৫ + ৬ + ৭ + ৮ + ৯ + ৮ + ৭ + ৬ + ৫ + ৪ + ৩ + ২ + ১) = ৮১ = (৯×৯)।এ সপ্তাহের ধাঁধা৬০-এর সঙ্গে একটি সংখ্যা যোগ করে ৪ দিয়ে ভাগ করলে যোগ করা সংখ্যাটির চার গুণ একটি সংখ্যা পাওয়া যায়। বলুন তো কত যোগ করলে এই হিসাব মিলবে?খুব সহজ। অনলাইনে মন্তব্য আকারে অথবা quayum@gmail.com ই-মেইলে আপনাদের উত্তর পাঠিয়ে দিন। সঠিক উত্তর দেখুন আগামী রোববার অনলাইনে।গত সপ্তাহের ধাঁধার উত্তরধাঁধাটি ছিল এ রকম: ভালো কাজের জন্য এক কর্মীকে প্রথম দিন দেওয়া হলো ৫টি বই, দ্বিতীয় দিন এর দ্বিগুণ ১০টি বই, তৃতীয় দিন আগের দিনের দ্বিগুণ ২০টি বই, ... এভাবে ৭ দিন পুরস্কার দেওয়া হলো। সে মোট কতটি বই পেল?উত্তরমোট ৬৩৫টি বই।কীভাবে উত্তর বের করলামপর্যবেক্ষণে দেখা যাচ্ছে, প্রতিদিন সেই কর্মী যতটি বই পাচ্ছে তা ৫-এর গুণিতক। সাত দিনে সে পাচ্ছে = (৫ + ১০ + ২০ + ৪০ + ...+ ৩২০)টি বই= ৫ (১ + ২ + ৪ + ..... + ৬৪) = ৫ (২০ + ২১ + ২২ + .... + ২৬)=৫ × ১২৭= ৬৩৫।অন্যভাবে আমরা গুণোত্তর ধারার সূত্র ব্যবহার করে যোগফল বের করতে পারি। এখানে মূল ধারাটি হলো ৫ (১ + ২ + ৪ + ..... + ৭ম পদ)। ব্র্যাকেটের মধ্যে গুণোত্তর ধারাটির প্রথম পদ ১, সাধারণ অনুপাত ২ এবং পদ সংখ্যা ৭। সূত্র অনুযায়ী, প্রথম ৭টি পদের যোগফল = ১(২৭ - ১) ÷ (২−১) = (১২৮ - ১) ÷ (১) = ১২৭। সুতরাং মোট যোগফল = ৫ × ১২৭ = ৬৩৫।আব্দুল কাইয়ুম, সম্পাদক, মাসিক ম্যাগাজিন বিজ্ঞানচিন্তা
400,742
আহমেদ জায়িফ ও অরূপ রায়, সাভার থেকে
bangladesh
বাংলাদেশ
৩১ অক্টোবর ২০১৮, ১১:২৪
৩১ অক্টোবর ২০১৮, ১১:২৮
আইনশৃঙ্খলা,সাভার,আইন ও বিচার
null
চার দিন পর গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে গেল পুলিশ
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1563320
গত শুক্রবার পিএইচএ ভবনে হামলা-ভাঙচুরগণস্বাস্থ্য কেন্দ্র আশুলিয়া থানায় তিনটি অভিযোগ দিয়েছেআহত একজন ছাত্র আরেকটি অভিযোগ দিয়েছিলেনমঙ্গলবার ভাঙচুর–হামলার তথ্য সংগ্রহ করেছে পুলিশআওয়ামী লীগ নেতার দেয়াল নির্মাণ বন্ধগণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের পিএইচএ ভবনে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের চার দিন পর গতকাল মঙ্গলবার ঘটনাস্থলে গেছে পুলিশ। এ সময় তারা ভাঙচুর ও হামলার তথ্য সংগ্রহ করে। তারা ঘটনার বিষয়ে উপস্থিত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে কথাও বলেছে। এ ছাড়া প্রতিষ্ঠানটির দখলে থাকা জায়গার ওপর আওয়ামী লীগ নেতার দেয়াল নির্মাণকাজ বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ।এ দিকে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে নারী কর্মীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে গতকাল প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেছেন।গত শুক্রবার সকালে শতাধিক দুর্বৃত্ত রড, লাঠি, চাপাতি নিয়ে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র পিএইচএ ভবনে হামলা-ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। এ সময় তারা ভবনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের লাঞ্ছিত করে। তারা গণবিশ্ববিদ্যালয় ও গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেলের ছাত্রীদের অকথ্য গালিগালাজ করে এবং হোস্টেল থেকে তাঁদের বের করে দেয়।গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের অভিযোগ, জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে ‘কটন টেক্সটাইল ক্রাফটস লিমিটেডের’ চেয়ারম্যান কাজী মহিবুর রবের নির্দেশে দুর্বৃত্তরা এ হামলা চালায়। এ ঘটনায় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র আশুলিয়া থানায় তিনটি অভিযোগ দিয়েছে। ওই ঘটনায় আহত গণবিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্র আরেকটি অভিযোগ দিয়েছিলেন।গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রশাসনিক কর্মকর্তা শেখ মো. আলমগীর প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল বিকেল চারটার দিকে আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (অভিযান) মাসুদুর রহমানের নেতৃত্বে চারজনের একটি দল ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করে। ছাত্রী হোস্টেলেও তাঁরা যান। তবে পুলিশের সঙ্গে কোনো ছাত্রীর কথা হয়নি।আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জাবেদ মাসুদ বলেন, কেউ যেন বিশৃঙ্খলা করতে না পারে, সে জন্য সবাইকে সতর্ক করা হয়েছে। আর জমিজমা নিয়ে কারও কোনো বিরোধ থাকলে আদালতে যেতে বলা হয়েছে। হামলা-ভাঙচুর ও লুটপাটের বিষয়ে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের অভিযোগের সত্যতা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দেয়াল নির্মাণকাজ বন্ধপিএইচএ ভবনে হামলা-ভাঙচুর ও লুটপাটের আগের দিন ২৫ অক্টোবর বিকেল থেকে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের দখলে থাকা ১৬ শতাংশ জমি নিজেদের দাবি করে দেয়াল নির্মাণ শুরু করেন সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক মো. নাছির উদ্দিন। প্রায় একই সময়ে এর পাশের জায়গায় দেয়াল নির্মাণ শুরু করেন আমিনুল ইসলাম। সেখান থেকে কিছু দূরে আরেকটি জায়গায় দেয়াল নির্মাণ শুরু করেন মোহাম্মদ আলী নামের এক ব্যক্তি। এসব জায়গা গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের দখলে ছিল।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মো. নাছির উদ্দিনের নির্মাণশ্রমিকেরা পাঁচ দিন ধরে পুরোদমে দেয়ালের নির্মাণকাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন। গতকাল সকালে আশুলিয়া থানার পুলিশ এসে নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেয়।নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেওয়ার বিষয়ে নাছির উদ্দিন বলেন, ‘পুলিশ বন্ধ রাখতে বলল। কী আর করব।’গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পেরে দেয়াল নির্মাণের কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন বলে জানান আশুলিয়া থানার ওসি রিজাউল হক।জমি দাবিকারীদের সংবাদ সম্মেলনগণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের দখলে থাকা বিভিন্ন স্থানের জায়গা নিজেদের দাবি করে গতকাল রাতে আশুলিয়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছে চারটি পক্ষ। এর মধ্যে কটন টেক্সটাইল ক্রাফটস লিমিটেডের প্রতিনিধিও ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে তাঁরা দাবি করেন, ডা. জাফরুল্লাহ তাঁদের কেনা জায়গা দখল করে আছেন।এই চারটি পক্ষই ১৫ থেকে ২৪ অক্টোবর আশুলিয়া থানায় ডা. জাফরুল্লাহর বিরুদ্ধে মামলা করেছিল।হাত ভাঙেনি লিমনেরগত শুক্রবার পিএইচএ ভবনে হামলার সময় বাধা দিতে গিয়ে দুর্বৃত্তদের মারধরের শিকার হন গণবিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের ছাত্র লিমন হোসেন। তিনি গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের রেজিস্ট্রার তারেক হাসানের অধীনে চিকিৎসাধীন। গতকাল তারেক হাসান প্রথম আলোকে বলেন, হামলায় লিমন শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত পেয়েছেন। এর মধ্যে ডান হাতের কনুইয়ের আঘাত ছিল সবচেয়ে বেশি। তবে হাতের হাড় ভাঙেনি, চিড়ও ধরেনি। এই আঘাতকে ‘সফট টিস্যু ইনজুরি’ বলে।ঝালকাঠির রাজাপুর ইউনিয়নের সাতুরিয়া গ্রামের লিমন হোসেন ২০১১ সালে মাঠ থেকে গরু আনতে গিয়ে র্যাবের গুলিতে পা হারান। তাঁর বিরুদ্ধে দুটি মামলা করে র‍্যাব। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আদেশে ২০১৩ সালে তাঁকে দুটি মামলা থেকেই অব্যাহতি দেওয়া হয়। পরে তিনি গণবিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন।
381,150
-1
entertainment
বিনোদন
২৯ এপ্রিল ২০১৪, ০০:০৯
২৯ এপ্রিল ২০১৪, ০০:০৯
বিনোদন,আলাপন
0
‘শুরুতে না বুঝে অভিনয় করতাম’
http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/204118
ফারজানা ছবি। ২০১৩ সালে সীমানা পেরিয়ে নাটকে অভিনয়ের জন্য সমালোচকদের রায়ে টেলিভিশনের সেরা অভিনয়শিল্পী (নারী) বিভাগে পেয়েছেন ‘মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার’। আজ গাজী টিভিতে প্রচারিত হবে তাঁর অভিনীত ধারাবাহিক নাটক শোধ।এই সময়ে আমি...আমার জীবনের অন্যতম সেরা সময় পার করছি। তিন দিন আগেই আমি ‘মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার’ পেয়েছি। আমি মনে করি, এ ধরনের স্বীকৃতি একজন মানুষকে নিজের কথা বলার ভিত্তি তৈরি করে দেয়। ভালো কিছু করার উৎসাহ দেয়, শক্তি জোগায়।পুরস্কার ঘোষণার সেই মুহূর্ত...নাম ঘোষণার সময় আমার মধ্যে উৎকণ্ঠা কাজ করছিল। ছিল উত্তেজনাও। মঞ্চে যখন উঠলাম, তখন কিছুই বুঝতে পারছিলাম না।‘শোধ’...নাটকে আমাকে নিম্নবিত্ত পরিবারের একটি মেয়ে হিসেবে দেখানো হয়েছে। আমার বিয়ে হয় উচ্চবিত্ত পরিবারে। এরপর শুরু হয় শ্রেণীবৈষম্যের দ্বন্দ্ব। শ্রেণীবৈষম্যের কশাঘাতে মেয়েটি একসময় প্রতিবাদী হয়ে ওঠে।প্রথম টিভি নাটক...১৯৯৮ সালে প্রথম টিভি নাটকে অভিনয় করি। আবদুল্লাহ আল মামুন পরিচালিত নাটকটির নাম চিঠি।এখন যা করছি...শোধ ছাড়া আরও তিনটি ধারাবাহিক নাটকে অভিনয় করছি। এগুলো হচ্ছে যুবরাজ খানের প্রজ্ঞা পারমিতা, হাসান শিকদারের মনপুতুলের বায়োস্কোপ এবং মনিরুজ্জামান লিপন ও তোহিদুল ইসলামের সোনালি মেঘের ভেলা। এ ছাড়া ঈদের জন্য রাজু খানের পরিচালনায় বিনিসুতার মালা নামের একটি টেলিছবির কাজ শেষ করেছি।নতুন জীবনের পথে...এরই মধ্যে আমার নতুন জীবন শুরু হয়েছে। সম্প্রতি আমার আক্দ হয়েছে। আগামী ৯ মে হবে বিবাহোত্তর সংবর্ধনা অনুষ্ঠান। জীবনের এক গল্প থেকে আরেক গল্পে প্রবেশ করেছি। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন।বোঝা না-বোঝার অভিনয়...শুরুতে না বুঝে অভিনয় করতাম। তখন মনে হতো, অভিনয় বুঝি কত সহজ। কিন্তু যখন বুঝে অভিনয় করছি, তখন মনে হলো অভিনয় অনেক কঠিন একটি কাজ।বিনোদন প্রতিবেদক
69,564
-1
international
আন্তর্জাতিক
১৮ ডিসেম্বর ২০১৫, ০০:২৬
১৮ ডিসেম্বর ২০১৫, ০০:২৭
এশিয়া
0
আরও অনেক বেশি ভূমিধস হতে পারত
http://www.prothom-alo.com/international/article/714928
নেপালে চলতি বছর ভয়াবহ মাত্রার দুটি যে ভূমিকম্প হয়েছে, তার প্রভাব আরও অনেক বেশি মারাত্মক হতে পারত। বিভিন্ন দেশের একদল বিজ্ঞানী এ অভিমত দিয়েছেন। খবর বিবিসির।সায়েন্স সাময়িকীতে প্রকাশিত পর্যালোচনায় বলা হয়েছে, ভূমিকম্প-পরবর্তী ভূমিধসের সংখ্যা আশঙ্কার তুলনায় অনেক কম ছিল। তা ছাড়া হিমালয় পর্বতমালার বরফাচ্ছাদিত হ্রদগুলোর মারাত্মক ক্ষতির প্রমাণও মেলেনি।পর্যালোচনা প্রতিবেদনটি যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকোয় অনুষ্ঠিত আমেরিকান জিওফিজিক্যাল ইউনিয়নের সম্মেলনেও উপস্থাপন করা হয়। গবেষকদলের প্রধান যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনা বিশ্ববিদ্যালয়ের জেফরি কারগেল বলেন, ‘বিশ্লেষণে বিস্ময়কর অনেক তথ্য মিলেছে।’কৃত্রিম উপগ্রহের (স্যাটেলাইট) ছবি বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, নেপালে ওই ভূমিকম্পের প্রভাবে ৪ হাজার ৩১২টি ভূমিধস হয়েছে। কিন্তু বিজ্ঞানীরা আশঙ্কা করেছিলেন, এ সংখ্যা আরও অনেক বেশি হবে। মনে করা হচ্ছে, গাছপালা ও বনাঞ্চলের কারণেই হয়তো বিপর্যয়ের মাত্রা তুলনামূলক কম ছিল।
184,534
-1
economy
অর্থনীতি
০১ এপ্রিল ২০১৬, ০০:০১
০১ এপ্রিল ২০১৬, ০১:১১
খবর
0
স্বপ্নের নতুন আউটলেট
http://www.prothom-alo.com/economy/article/815950
রাজধানীর মিরপুর ৬ নম্বরের বি ব্লকে রিটেইল চেইন শপ স্বপ্নের আউটলেটের যাত্রা শুরু হলো। সম্প্রতি এই আউটলেট উদ্বোধন করেন স্বপ্নের অপারেশনস ডিরেক্টর আবু নাছের। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির হেড অব রিটেইল সেলস সামসুদ্দোহা শিমুল, হেড অব বিজনেস সাইফুল আলমসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। বিজ্ঞপ্তি।
216,228
বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
entertainment
বিনোদন
৩১ মে ২০১৮, ১৬:১৬
৩১ মে ২০১৮, ১৬:৩৭
মঞ্চ
0
অঘোষিত ছুটির আমেজের মাঝে শিল্পকলায় নাটক
http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/1500081
বেশ কয়েক দিন স্থবির ছিল রাজধানীর নাট্যাঙ্গন। অঘোষিত ছুটির আমেজ ছিল এখানে। তেমন কোনো বড় দলের নাটক মঞ্চায়িত হতে দেখা যায়নি এই কয়েক দিন। গতকাল বুধবার যেন ছুটির আমেজে ছিল নাট্যাঙ্গন। সন্ধ্যায় জাতীয় নাট্যশালায় মঞ্চস্থ হয়েছে একটি নাটক। নাট্যদল ঢাকা পদাতিক তাদের নতুন নাটক ‘ট্রায়াল অব সূর্য সেন’ মঞ্চস্থ করে। জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক দর্শক নাটকটি উপভোগ করে।ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের বীর মাস্টারদা সূর্য সেনের প্রহসনের বিচার ও অন্যায় হত্যাকাণ্ডের বিষয়বস্তুকে উপজীব্য করে নতুন নাটক ট্রায়াল অব সূর্য সেন-এর রচনার পাশাপাশি নির্দেশনাও দিয়েছেন নাট্যজন মাসুম আজিজ। এটি ঢাকা পদাতিকের ৩৮ তম প্রযোজনা। গতকাল ছিল এ নাটকের তৃতীয় প্রদর্শনী।ইতিহাসনির্ভর এই নাটকের চরিত্রসমূহ সূর্য সেন, প্রীতিলতা, কল্পনা দত্ত, অম্বিকা রায়, নির্মল সেন, ব্রিটিশ উকিল, বাঙালি উকিলসহ প্রায় ৪০টি চরিত্র উঠে এসেছে এ নাটকে। মঞ্চে নাদের চৌধুরী, মাহবুবা হক, আবদুল্লাহ রানা, হাসনা হেনা, মাহাবুবুর রহমান, সাবিহা জামান, শ্যামল হাসান, কাজী আমিনুর, ফিরোজ হোসাইন, আক্তার হোসেন প্রমুখের অভিনয়ে জীবন্ত হয়ে উঠেছে ঐতিহাসিক সেই প্রহসনের বিচারের চিত্র।নাটকটি নিয়ে নাট্যকার-নির্দেশক বলেন, ‘আধো আধো সমাজতন্ত্রে বিশ্বাসী একজন মানুষ হিসেবে আমি ইতিহাসের কাছে একধরনের দায়বদ্ধতাও অনুভব করেছি কাজটি শুরু করার যুক্তি হিসেবে। আমরা ইতিহাসকে আশ্রয় করেছি কেবল। প্রকৃত অর্থে ইতিহাস বর্ণনা করতে চাইনি। ইতিহাস এসেছে ব্যাখ্যার প্রয়োজনে। মাস্টারদাকে আজকের সময়ের মুখোমুখি দাঁড় করানোটাই আমরা জরুরি ভেবেছি।’শিল্পকলা একাডেমির নাট্যকলা বিভাগের এক কর্মী জানান, পবিত্র রমজান শুরুর পর সোমবার জাতীয় নাট্যশালায় শিল্পকলা পদক বিতরণ অনুষ্ঠান ছাড়া আর কোনো আয়োজন হয়নি। এর মধ্যে জাতীয় নাট্যশালায় গতকালই নাটক মঞ্চস্থ হয়েছে। এর বাইরে পরীক্ষণ থিয়েটারে রুধিররঙ্গিণী নাটকের প্রদর্শনী এবং স্টুডিও থিয়েটারে একটি আবৃত্তির অনুষ্ঠান হয়েছে।
365,696
প্রতিনিধি,নাটোর
bangladesh
বাংলাদেশ
২৬ আগস্ট ২০১৮, ১৩:২৯
২৬ আগস্ট ২০১৮, ১৩:৪৫
নাটোর,আইন ও বিচার,দুর্ঘটনা
null
নিহত চালক-সহকারীসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1555010
নাটোরের লালপুরের বাস-লেগুনা সংঘর্ষে ১৫ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় আজ রোববার সকালে লালপুর থানায় সাতজনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। বনপাড়া হাইওয়ে থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) ইউছুব আলী বাদী হয়ে মামলাটি করেন। আসামিদের মধ্য লেগুনার চালক ও তাঁর সহকারী দুজনই দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন। তবে এখন পর্যন্ত পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।এদিকে সড়ক দুর্ঘটনা সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে সকালে বড়াইগ্রাম উপজেলার বনপাড়া পৌরসভা ও থানা-পুলিশের উদ্যোগে পৌর চত্বরে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।গতকাল শনিবার বিকেল চারটার দিকে নাটোরের লালপুরের কদিমচিলান ক্লিক মোড়ের সাদিয়া ফিলিং স্টেশনের সামনে চ্যালেঞ্জার নামের একটি বাসের সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা যাত্রীবাহী লেগুনার সংঘর্ষ হয়। এতে লেগুনাটি দুমড়েমুচড়ে যায়। বাসটি পড়ে যায় সড়কের পাশে খাদে। ঘটনাস্থলেই নিহত হয় লেগুনার ১০ যাত্রী। বাসটি পাবনা থেকে নাটোর হয়ে রাজশাহী যাচ্ছিল। দুর্ঘটনার পরপর আশপাশের লোকজন ছুটে এসে লেগুনার অপর ৪ যাত্রী ও বাসের ৮ যাত্রীকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করেন। পরে হতাহত ব্যক্তিদের উদ্ধারে যোগ দেন বনপাড়া হাইওয়ে থানা, লালপুর থানা, নাটোর ও লালপুর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। আহত ব্যক্তিদের বড়াইগ্রামের বনপাড়া শহরের বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় লেগুনার আরও ৪ যাত্রী মারা যান। পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার মীরকামারি গ্রামের সালামত আলীর মেয়ে সুমাইয়া (১১ মাস) রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে মারা যায়।লেগুনার বেঁচে যাওয়া একমাত্র যাত্রী নুরসেদ সর্দার (৭২) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল বলেছিলেন, লেগুনাটি বড়াইগ্রামের বনপাড়া বাইপাসের লেগুনা স্ট্যান্ড থেকে ছেড়ে ঈশ্বরদীর দাশুড়িয়া যাচ্ছিল। লেগুনাটি ছাড়ার পর থেকেই চালক এলোমেলো চালাচ্ছিলেন। চালক মুঠোফোনে কথা বলছিলেন। হঠাৎ বিপরীত দিক থেকে আসা একটি বাসের সঙ্গে সংঘর্ষে মুহূর্তে সবকিছু তছনছ হয়ে যায়। দুর্ঘটনায় তিনি স্ত্রী লজেলাকে হারিয়েছেন।লালপুর থানা সূত্রে জানা যায়, এ ঘটনায় বনপাড়া হাইওয়ে থানার এএআই ইউছুব আলী লালপুর থানায় এফআইআর করেন। মামলায় বনপাড়া লেগুনা স্ট্যান্ডের সভাপতি জাবেদ মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, লেগুনার চালক, চালকের সহকারী, চ্যালেঞ্জার বাসের মালিক, বাসের চালক ও চালকের সহকারীকে আসামি করা হয়েছে।আসামিদের মধ্য লেগুনার চালক ও তাঁর সহকারী দুজনই দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন। আর চ্যালেঞ্জার বাসের মালিক, চালক ও চালকের সহকারীকে অজ্ঞাত দেখানো হয়েছে।লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম জানান, আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। তাঁরা পলাতক থাকায় গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।জনসচেতনতামূলক গণসমাবেশআজ সকালে বনপাড়া পৌর চত্বরে সড়ক দুর্ঘটনারোধে জনসচেতনতামূলক গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আনোয়ার পারভেজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য দেন নাটোর-৪ (বড়াইগ্রাম-গুরুদাসপুর) আসনের সাংসদ আব্দুল কুদ্দুস, নাটোর-১ (লালপুর-বাগাতিপাড়া) আসনের সাংসদ মো. আবুল কালাম, জেলা প্রশাসক শাহিনা খাতুন, পুলিশ সুপার বিপ্লব বিজয় তালুকদার, হাইওয়ে পুলিশ সুপার (বগুড়া) মোস্তাফিজুর রহমান। বক্তারা মহাসড়কে সড়ক দুর্ঘটনা রোধে পরিবহন–সংশ্লিষ্টদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষকে আরও সচেতন হওয়ার পরামর্শ দেন।নাটোরের পুলিশ সুপার বলেন, তিনি মহাসড়কে লেগুনা ও তিন চাকার পরিবহন চলতে দিতে চান না। এখন থেকে এসব পরিবহন আর মহাসড়কে উঠতে পারবে না। এ জন্য তিনি সবার সহযোগিতা চান।
374,758
অনলাইন ডেস্ক
entertainment
বিনোদন
০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৩, ১২:৫৫
০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৩, ১৩:১৬
বলিউড
null
শাহরুখকে ফের খোঁচালেন সালমান!
http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/45851
ভারতের কংগ্রেস দলের নেতা বাবা সিদ্দিকের ইফতার অনুষ্ঠানে একে-অন্যকে আলিঙ্গন করে দীর্ঘদিনের দ্বন্দ্ব মিটিয়েছেন শাহরুখ ও সালমান খান। কিন্তু শাহরুখকে খোঁচানোর অভ্যাসটা বোধহয় এখনো ছাড়তে পারেননি সালমান। সম্প্রতি ‘ঝলক দিখলা যা’ অনুষ্ঠানের একটি পর্বে আবার শাহরুখকে কথার খোঁচা মেরে খবরের শিরোনাম হলেন ‘দাবাং’ তারকা সালমান।গত সপ্তাহে সালমান তাঁর ‘বিগ বস’ রিয়েলিটি শোর প্রচারের কাজে ‘ঝলক দিখলা যা’ অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন। অনুষ্ঠানটির বিচারক মাধুরী দীক্ষিত, রেমো ডি’সুজা ও করণ জোহরকে অতীতের কোনো পাপের স্বীকারোক্তি দিতে বলেন সালমান। তখন করণ বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই আমি ভালো ছেলে। পাপের স্বীকারোক্তি দেওয়ার মতো আমার কিছুই নেই।’ কথা প্রসঙ্গে সালমান বলেন, ‘বর্তমানে আমাদের দেশের অন্যতম প্রতিভাবান নির্মাতা করণ। একটা সময় আমরা মজা করে বলতাম, আমরা একে-অন্যের সবচেয়ে ভালো বন্ধু। এখন কিন্তু বিষয়টি সত্যে পরিণত হয়েছে।’ তখন করণ জিজ্ঞেস করেন, ‘বন্ধুত্বের ফায়দা কী?’ সম্প্রতি এক খবরে এমনটিই জানিয়েছে ‘হিন্দুস্তান টাইমস’। করণের মুখে প্রশ্নটি শুনে কড়া মন্তব্য ছুড়ে দেন সালমান। তিনি বলেন, ‘বন্ধুত্বের মধ্যে যারা ফায়দা খোঁজে, আমি তাদের বন্ধু নই। করণ, আমি সব সময় আপনার ছবিতে কাজ করতে চেয়েছি। কিন্তু সেটা হয়নি। আর আজ উল্টো আপনি আমাকে আপনার ছবিতে নিতে চাইছেন। কেবল ঈশ্বরই জানেন, আগে আপনি কার ভয়ে আমার সঙ্গে কাজ করতে রাজি হননি। তার মানে এই নয় যে, আমি আপনার সঙ্গে কাজ করব না। এখন আমার হাতে অনেক কাজ। ফুরসত মিললেই আপনার ছবিতে আমি কাজ করব।’ করণের সঙ্গে শাহরুখের ঘনিষ্ঠতার কথা খুব ভালো করেই জানা আছে বলিউডের বাসিন্দাদের। কাজেই শাহরুখকে খোঁচা মেরেই যে সালমান এমন মন্তব্য করেছেন, তা প্রায় নিশ্চিত। সালমানের এমন বেফাঁস মন্তব্যে শাহরুখ পাল্টা কী প্রতিক্রিয়া জানান, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
15,321
নিজস্ব প্রতিবেদক
bangladesh
বাংলাদেশ
০৫ মে ২০১৭, ০২:০৪
০৫ মে ২০১৭, ০৮:৪৮
-1
0
হাওরের ৫০ হাজার জেলে ভিজিএফ কর্মসূচির অন্তর্ভুক্ত
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1169351
হাওরে ক্ষতিগ্রস্ত ৫০ হাজার জেলেকে দুস্থ ব্যক্তিদের খাদ্য সহায়তা (ভিজিএফ) কর্মসূচির আওতায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এ কর্মসূচির আওতায় প্রতি মাসে তাঁরা ৩০ কেজি চাল এবং ৫০০ টাকা করে পাবেন।গতকাল বৃহস্পতিবার হাওরে দুর্যোগ বিষয়ে আন্তমন্ত্রণালয় সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এই সভা হয়। ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনামন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।সভায় সিদ্ধান্ত হয়, সরকারের সংশ্লিষ্ট সব দপ্তর হাওরের ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে প্রতিবেদন তৈরি করবে এবং তারা ক্ষতি মোকাবিলায় কী করছে, সে বিষয়ে আন্তমন্ত্রণালয় সমন্বয় সভায় প্রতি সপ্তাহে তাদের প্রতিবেদন উপস্থাপন করবে।সাংবাদিকদের কাছে সভার বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন ত্রাণমন্ত্রী। তিনি বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত সব মানুষকে খাদ্য সহায়তার আওতায় আনার জন্য ভিজিএফ, ন্যায্যমূল্যে চাল বিক্রি (ওএমএস), ফেয়ার প্রাইসসহ নানা কর্মসূচির মধ্যে সমন্বয় আনা হবে।
315,481
মোছাব্বের হোসেন
bangladesh
বাংলাদেশ
৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৩, ০০:৫৯
৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৩, ০১:০৩
মহানগর,রাজধানী (জাতীয়),অপরাধ
0
আগারগাঁওয়ে জব্দ করা গাড়ি রেখে রাস্তা দখল
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/51615
রাস্তাটির এক দিকে ফাঁকা, আরেক দিকে যত্রতত্র গাড়ি রাখা। হঠাৎ দেখে মনে হতে পারে, যানজটের কবলে পড়েছে রাস্তাটি! কিন্তু স্থির দৃষ্টি দিলেই বোঝা যাবে, যানজট সহজে কাটবে না। কারণ এই যানজট স্থায়ী। গত দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে রাস্তাটি জব্দ করা গাড়ি রেখে দখল করে রেখেছে ট্রাফিক পুলিশ।স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ, এভাবে জব্দ করা গাড়ি রেখে রাস্তাটি স্থায়ীভাবে বন্ধ করা হয়েছে। রাস্তাটি গণপূর্ত অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে থাকার পরও এটি দখলমুক্ত করতে তারা যথাযথ ব্যবস্থা নেয়নি।গত বৃহস্পতিবার সরেজমিনে দেখা যায়, রোকেয়া সরণির সঙ্গে সংযুক্ত ঢাকা মহিলা পলিটেকনিক ও পরিসংখ্যান বিভাগের সামনে দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের পুরো সড়কটি একপাশ দখল করে জব্দ করা গাড়ি রাখা হয়েছে। গাড়িগুলো এভাবে রাস্তায় রাখায় চাকা দেবে কোথাও কোথাও রাস্তার বিটুমিন উঠে গেছে। কোথাও ছড়িয়ে আছে ভাঙা গাড়ির কাচ। উন্মুক্ত স্থানে রাখায় দিনে দিনে গাড়িগুলো নষ্ট হচ্ছে।ট্রাফিক বিভাগ সূত্র জানায়, ট্রাফিক উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন সময়ে জব্দ করা গাড়ি এনে এ রাস্তায় রাখা হয়।স্থানীয় বাসিন্দা আকরাম আলী জানান, সন্ধ্যা হলেই স্থানীয়রা এ পথ দিয়ে যেতে চায় না। জব্দ করা গাড়ির ফাঁকে ফাঁকে ছিনতাইকারীরালুকিয়ে থাকে। এখানে জুয়ার আড্ডা বসে এবং নানা অসামাজিক কার্যকলাপ হয়।এদিকে রাস্তাটির তত্ত্বাবধায়ক গণপূর্ত অধিদপ্তর হওয়ার পরও তারা রাস্তাটি দখলমুক্ত করার উদ্যোগ নেয়নি। উল্টো দায়িত্ব অস্বীকার করে রাস্তাটি মেরামতের জন্য ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনকে চাপ দিচ্ছে। নথি থেকে দেখা গেছে, সম্প্রতি এ রাস্তায় পাবলিক সার্ভিস কমিশনের একটি ভবনের উদ্বোধনের সময় প্রধানমন্ত্রীর আসা উপলক্ষে গণপূর্ত বিভাগ উত্তর সিটি করপোরেশনকে চিঠি দেয়। পাল্টা চিঠিতে সিটি করপোরেশন জানায়, এটি তাদের রাস্তা না হওয়ায় এর দায়িত্ব তারা নিতে পারে না।উত্তর সিটি করপোরেশন আগারগাঁও অঞ্চলের (অঞ্চল-৫) দায়িত্বে থাকা প্রকৌশলী শরীফ উদ্দিন বলেন, রাস্তাটি গণপূর্ত বিভা-গের। যে রাস্তা সিটি করপোরেশনের নয়, তার তত্ত্বাবধান করাও সিটি করপোরেশনের কাজ নয়।জানতে চাইলে গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী কবির উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, বার্ষিক তহবিলে পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় অধিদপ্তরের পক্ষে রক্ষণাবেক্ষণ ও তদারকি সম্ভব হয় না। গাড়ি সরানোর বিষয়টি সম্পূর্ণ পুলিশের ওপরই নির্ভর করে। তিনি বলেন, এ রাস্তাসহ অধিদপ্তরের রাস্তাগুলো রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সিটি করপোরেশনকে লিখিতভাবে বলা হয়েছে। তারা কিছু করেছে, কিছু করেনি।ট্রাফিক পশ্চিমের উপকমিশনার একরামুল হাবিব রাস্তা দখল করার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘ওই রাস্তায় সাময়িকভাবে জব্দ করা গাড়ি রাখা হয়েছে। ট্রাফিক বিভাগ জব্দ করা গাড়ি সংরক্ষণের জন্য আলাদা জায়গা করছে, সেখানে গাড়িগুলো নিয়ে যাওয়া হবে।’দুই বছরেরও বেশি সময় রাস্তা বন্ধ রাখাকে সাময়িক বলা যায় কি? এ প্রশ্ন করা হলে একরামুল হাবিব ‘পরে ফোন দেন’ বলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
20,745
শাহদীন মালিক
opinion
মতামত
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, ০০:৫০
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, ০০:৫৯
শাহদীন মালিক,মতামত,রাজনীতি,লেখকের কলাম
null
আমরা সবাই অসুস্থ হয়ে পড়ছি
http://www.prothom-alo.com/opinion/article/443278
৩ ফেব্রুয়ারি বেলা সোয়া ১১টা, বেশ কয়েকটি টিভি চ্যানেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের চিকিৎসকদের সংবাদ সম্মেলন। চিকিৎসাধীন দগ্ধ রোগীদের অবস্থার বিবরণী। বার্ন কারও ২০ শতাংশ, কারও ৪০ শতাংশ। নাম, বয়স, কোথা থেকে এসেছেন—এসব তথ্য। মোট চিকিৎসা নিতে এসেছেন ১১১ জন। হাসপাতালে এখন আছেন ৬১ জন। ৩ তারিখ ভোরে ঢাকা-চট্টগ্রাম রোডে বাসে পেট্রলবোমা হামলায় ইতিমধ্যে নিহত হয়েছেন সাতজন। সেখান থেকে আরও ছয়জন আগুনে পোড়া রোগী সকালে ঢাকা মেডিকেলে এসেছেন।চিকিৎসক বিভিন্ন হিসাব দিচ্ছেন। আমাদের বীভৎসতার হিসাব। আমাদের নির্মমতার হিসাব। আর সরাসরি টিভিতে সম্প্রচার করা হচ্ছিল এসব খতিয়ান। অধমের মতো নিশ্চিত হাজার হাজার টিভি দর্শক এ হিসাব দেখছিলেন, শুনছিলেন।আমরা সবাই অসুস্থ হয়ে পড়ছি। নির্মম, নির্দয়, অসুস্থ জাতি। কয়েক দিন আগে নরসিংদীর এক গ্রামের বাসিন্দারা সাতজন ডাকাতকে পিটিয়ে মেরেছে। একজন বেঁচে গেছে। পুলিশ, র্যাব, ডিবি প্রায় প্রতিদিন গুলি করে মানুষ মারছে। বিজিবিপ্রধানের আস্ফালনের পর সহসা বিজিবি যদি গুলি করে মানুষ না মারে, তাহলে তো তাদের বীরত্ব নিয়ে গুঞ্জন শুরু হবে।সবাই মানুষ মারে। আমরা অসুস্থ হয়ে পড়ছি। আমরা ক্ষমতায় থাকব, থাকবই। আমরা ওদের হটিয়ে ক্ষমতায় যাবই! এটাই এখন আমাদের ‘রাজনীতি’।এমন যদি হতো, এক পক্ষ হঠাৎ বলে বসল, ‘আসুন, কথা বলি’। অন্য পক্ষ নির্ঘাত আঁতকে উঠত, ‘শর্ত কী?’ ‘না, কোনো শর্ত নেই। আসুন, কথা বলি।’ আমাদের রাজনীতিতে এটা হওয়ার নয়। সভ্য লোকেরা কথা বলে, আলাপ-আলোচনা করে, কথা রাখে, ছাড় দেয়। কিন্তু আমরা সবাই অসুস্থ হয়ে পড়ছি। অসুস্থ মানুষের হিতাহিত জ্ঞান থাকে না, থাকার কথাও না।বরং প্রতিযোগিতা হচ্ছে কে কত হিংস্র কথা বলতে পারে, তা নিয়ে।‘গুগল’-এর এক সুবিধা—সহজেই অনেক কিছু জানা যায় সেখান থেকে। সবকিছুই যেন আঙুলের ডগায়। খুবই প্রচলিত ও জনপ্রিয় ধারণা, ‘রোম যখন পুড়ছিল তখন সম্রাট নিরো বাঁশি বাজাচ্ছিলেন।’ খারাপ অর্থে নিরো এক দয়া-মায়াহীন হিংস্র শাসকের প্রতীক। গল্পে আছে, সম্রাট নিরো নিজেই আগুন লাগানোর ব্যবস্থা করেছিলেন। রোম যখন পুড়ছিল, সম্রাট নিরো তখন ব্যালকনি-বারান্দায় দাঁড়িয়ে মনের সুখে বাঁশি বাজাচ্ছিলেন। ঘটনা ঘটেছিল ৬৪ খ্রিষ্টাব্দের ১৮-১৯ জুলাই তারিখে। অবশ্য অনেকে বলেন, আগুন জ্বলেছিল চার-পাঁচ দিন ধরে। উল্টো কেচ্ছাও আছে। বলা হয়, যখন আগুন লেগেছিল তখন বা সেই দিন সম্রাট নিরো রোমেই ছিলেন না। দুদিন পর রোমে ফিরে এসে আগুন নেভানোর ব্যবস্থা তদারকি করেন, ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের মাঝে সাহায্য বিতরণ করেন, ইত্যাদি ইত্যাদি।অর্থাৎ ইতিহাসের একটা আওয়ামী লীগ ভাষ্য, আরেকটা বিএনপি ভাষ্য। অধমের ভাষ্য আরেকটা, বাংলায় নিরোর বাঁশি বাজানোর কথা কোথা থেকে কেমনে চালু হলো? অধম ল্যাটিন ভাষা জানে না। সভ্যতার উৎপত্তি ল্যাটিন ভাষায়। তাই এখন বুঝি ছাত্রাবস্থায় এই ভাষাটি রপ্ত করা দরকার ছিল। চোর পালালে বুদ্ধি বাড়ে—ভাষা শেখার বয়স পেরিয়ে গেছে।ইংরেজিতে বলা হয়, নিরো ফিডল বাজাচ্ছিলেন। পরে দেখা গেল ‘ফিডল’ অর্থাৎ বেহালা গোছের সরু তারের বাদ্যযন্ত্র, যেটা মোটামুটিভাবে দশম বা একাদশ শতাব্দীর আগে আবিষ্কৃত হয়নি। তাই নিরো আর যা বাজান না কেন, ‘ফিডল’ বাজাচ্ছিলেন না। ধারণা করছি, একটা যন্ত্রতে একদিকে ফুঁ দেবেন আর অন্য দিকে সুরেলা আওয়াজ বের হবে এমন যন্ত্র। অর্থাৎ বাঁশি। দুই হাজার বছর আগে আবিষ্কৃত, যা ব্যবহৃত হতো না। আগুনে সম্রাট নিরোর একটা প্রধান প্রাসাদ পুড়ে গিয়েছিল। যাহোক, যতটা রটে, তত না, নিশ্চয় না; আবার একদমও যা, তা–ও না।লেখার মাঝখানে এক প্রতিষ্ঠানের এক কর্মকর্তা কিছু কাগজ নিয়ে এল। দেখে, সই করার জন্য। ‘স্যার, প্রতিদিন সকালে বাসে অথবা ট্রেনে নারায়ণগঞ্জ থেকে ঢাকায় আসি। জানি না আজ সন্ধ্যায় বাসায় ফিরতে পারব, নাকি আত্মীয়স্বজনদের আমার পোড়া শরীর দেখতে ঢাকা মেডিকেলে আসতে হবে। চাকরি তো করতে হবে, সকাল-বিকেল তাই ঝুঁকি নিতে হবে?’তরুণ কর্মকর্তাটি দুই নেত্রী সম্পর্কে তারপর যা মন্তব্য করল, সেটা লিখে সবাই মিলে জেলে যাওয়ার খায়েশ নেই। সে কথাগুলো বলে ফেলেছিল বেফাঁস। নিজেই মাফ চাইল তার অতি কড়া মন্তব্যের জন্য। বুঝলাম, যুক্তিতাড়িত নয়, অনুভূতিতাড়িত মন্তব্য। এটাও অসুস্থতার লক্ষণ। সবাই অসুস্থ হয়ে পড়ছি।মানুষ যখন ভেঙে পড়ছে, তখন প্রতিষ্ঠানগুলো ভেঙে পড়তে বাধ্য। হচ্ছেও তা-ই। অধমের ধারণা, পুলিশের গ্রহণযোগ্য ও বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের দেশের চল্লিশোর্ধ্ব বছরের মধ্যে অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে কম। কোনো প্রতিষ্ঠানের বিশ্বাসযোগ্যতা, গ্রহণযোগ্যতা যত কমে, তার কর্তাব্যক্তিদের হাঁকডাক, লম্ফঝম্ফ তত বাড়ে। তা-ই হচ্ছে। আর মনে হচ্ছে, পুলিশের প্রধান কাজ হচ্ছে বিএনপির নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া, গড়ে ৫০টির কম মামলা নিশ্চয় কোনো বড় মাপের বিএনপির নেতার বিরুদ্ধে নেই। কম থাকলেও অচিরেই পুলিশ সেটা নিশ্চয় পূরণ করবে। অর্থাৎ মামলার সংখ্যা জনপ্রতি ৫০ পার করে দেবে।আর আদালত নির্বিচারে সব মামলা গ্রহণ করছেন, রিমান্ড দিচ্ছেন। প্রতিষ্ঠানগুলো বিশ্বাসযোগ্যতা হারাচ্ছে। বিশ্বের বহু দেশে এ গোছের রাজনৈতিক সংকট উত্তরণের পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিরাট বিরাট অংশকে বিলুপ্ত করতে হয়েছে। এই গত সপ্তাহেই আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট ক্রিশ্চিনা কির্চনার তাঁর দেশের এসআইউই নামে পরিচিত গোয়েন্দা সংস্থার বিলুপ্তি ও নতুন আইন করে নতুন গোয়েন্দা সংস্থা তৈরির ঘোষণা দিয়েছেন।অসুখ অল্প-বিস্তর হলে চিকিৎসা দিয়ে সেরে ওঠা যায়। অনেক দিন চিকিৎসা না করলে বা অবহেলা করলে সাধারণ রোগবালাই দুরারোগ্য ব্যাধিতে পরিণত হতে পারে বা হয়েই যায়। অবস্থা এভাবে চললে আমরা সবাই ভীষণ ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে পড়ব।সরকারকে বুঝতে হবে যে ২০১৪-এর নির্বাচনের ওপর ভর করে পাঁচ বছর সরকার চালানো যাবে না। চালাতে গেলে আমও যাবে, ছালাও যাবে। ২০ দলকেও বুঝতে হবে যে পেট্রলবোমা, তা আপনারা মারেন বা না মারেন, (নিরোর মতো) তা দিয়ে আপনাদের জনপ্রিয়তা বা গ্রহণযোগ্যতা বাড়ছে না, আর এর মাধ্যমে সরকার উৎখাত করা অসম্ভব। শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী থেকেই তাঁর সরকারের অধীনে মধ্যবর্তী নির্বাচনই এখন একমাত্র পথ। অন্য পথও হয়তো আছে। অধম এই মুহূর্তে তার হদিস পাচ্ছে না।মধ্যবর্তী নির্বাচন পরিচালনাকারী সরকারের কলেবর অবশ্যই ছোট হতে হবে, তাতে দু-চারজন মন্ত্রী থাকবেন বিএনপির পছন্দ অনুযায়ী। বিএনপি হয়তো চাইবে স্বরাষ্ট্র ও জনপ্রশাসন। দেনদরবার হতে পারে। দেনদরবার হতে হবে নির্বাচন কমিশন নিয়ে। নির্বাচন কমিশনকে ভালো গ্রহণযোগ্য অংশীদারত্বমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করার জন্য কী কী করতে হবে, কাকে দিয়ে করতে হবে, সে অভিজ্ঞতা জাতির আছে। তাই কাজটা কঠিন হবে না।উভয় পক্ষের রাজনীতিবিদেরা ভাবছেন, তাঁরা ঠিক করছেন। তাঁরা ভুল ভাবছেন। তবে যিনি সরকার চালান, দায়িত্বটা তাঁর বেশি। দেশ এমনভাবে চালাবেন না, যাতে পুরো জাতি দীর্ঘস্থায়ী রোগবালাইেয় আক্রান্ত হয়। আক্রান্ত আমরা সবাই হয়ে গেছি। তবে ওষুধ পেলে তাড়াতাড়ি সেরে উঠতে পারব।অর্থনীতি ভেঙে পড়ছে। পুলিশ, র্যাব, বিজিবি দিয়ে অর্থনীতিকে চাঙা করতে পারবেন না। শক্তি প্রয়োগ না করে বিকল্প ব্যবস্থায় দেশের সমস্যা সমাধান করতে পারেন কেবল সত্যিকারের নেতারা। আমাদের দুর্ভাগ্য, দেশে এখন সত্যিকার নেতার বড়ই অভাব। আছে বিস্তর ক্ষমতাধর এবং ক্ষমতালোভী রাজনীতিবিদ। তাঁদের খপ্পরে পড়ে আমরা ক্রমান্বয়ে একটা অসুস্থ জাতিতে পরিণতি হচ্ছি, অচিরে যাদের স্বাভাবিক মৃত্যুর নিরাপত্তা থাকবে না।সুস্থতার আশা তো আর ছাড়া যায় না। মধ্যবর্তী নির্বাচনই এখন একমাত্র ট্রিটমেন্ট। হয়তোবা।ড. শাহদীন মালিক: আইনজীবী, সুপ্রিম কোর্ট।
112,876
মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
২৮ জানুয়ারি ২০১৫, ০২:২৭
২৮ জানুয়ারি ২০১৫, ০২:২৭
মানিকগঞ্জ,ঢাকা বিভাগ,বিশাল বাংলা,আইন ও বিচার
0
মানিকগঞ্জে পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/436357
মানিকগঞ্জে মো. শাহজাহান নামে ট্রাফিক পুলিশের এক কনস্টেবলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। গতকাল মঙ্গলবার শাহজাহানের বিরুদ্ধে জেলার বিচারিক হাকিমের আদালতের পত্রবাহক (প্রসেস সার্ভার) মো. আল-আমিন অভিযোগ দায়ের করলে বিচারক মো. আজাদুর রহমান শেখ এই আদেশ দেন।মো. আল-আমিন জানান, গত শুক্রবার সকাল নয়টার দিকে শহরের বেউথা এলাকা দিয়ে তিনি মোটরসাইকেল নিয়ে যাওয়ার সময় তা থামানোর সংকেত দেন কনস্টেবল শাহজাহান। কিন্তু মোটরসাইকেল থামাতে দেরি হওয়ায় তাঁকে শাহজাহান মারধর করেন ও তাঁর কাছে থাকা টাকা-পয়সা ছিনিয়ে নেন। এ ছাড়া শাহজাহান তাঁর কাছে থাকা আদালতের গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র ও মোটরসাইকেলের কাগজপত্র ছিঁড়ে ফেলেন। এমনকি তাঁর কাছে ২০ হাজার টাকা উৎকোচ দাবি করেন শাহজাহান। অন্যথায় তাঁকে ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিভিন্ন মামলায় জড়ানোর হুমকি দেন শাহজাহান।এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে অভিযোগ অস্বীকার করে শাহজাহান মুঠোফোনে প্রথম আলোকে জানান, এ ঘটনা সম্পর্কে তিনি কিছু জানেন না।
110,505
-1
life-style
জীবনযাপন
১৬ এপ্রিল ২০১৪, ০০:০৪
১৬ এপ্রিল ২০১৪, ০০:০৪
জেনে নিন,অধুনা
null
চোখের ব্যায়াম!
http://www.prothom-alo.com/life-style/article/193183
শরীর সুস্থ রাখার জন্য কত কিছুই না করি আমরা। সাঁতার কাটা, হাঁটা, জগিংসহ আরও কত-কী। কিন্তু চোখ ভালো রাখতে ব্যায়াম! এটি শুনে চোখ কপালে তোলার দরকার নেই। কেননা, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দৃষ্টিশক্তি ক্রমান্বয়ে কমতে থাকে। অতি সম্প্রতি গবেষণায় দেখা গেছে, শরীরচর্চার পাশাপাশি চোখের নিয়মিত যত্ন নিলে ‘ম্যাকুলার ডিজেনারেশন’ নামের চোখের মারাত্মক অসুখ প্রতিরোধে সহায়তা করে।এ বিষয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজের চক্ষুবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মো. মোস্তাক আহাম্মদ বলেন, বই পড়া, লেখালেখি কিংবা দীর্ঘক্ষণ কম্পিউটারে কাজ করার সময় চোখের ওপর চাপ পড়ে। তাই প্রতি ২০ মিনিট পর পর ২০ সেকেন্ড চোখের বিশ্রাম জরুরি। এ ছাড়া কম্পিউটারের স্ক্রিনের রং সাদা কিংবা সবুজ রাখা ভালো। যাঁরা শীতাতপনিয়ন্ত্রিত ঘরে কাজ করেন, তাঁদের প্রতি আধা ঘণ্টা পর পর চোখ পিটপিট করার পরামর্শ দেন। এতে চোখের শুষ্কতা দূর হয়।কাজের ফাঁকে ফাঁকে চোখের কিছু ব্যায়াম আছে, যেগুলো নিয়মিত চর্চা করলে দৃষ্টিশক্তি প্রখর হয়। এগুলো হলো—চোখের পেশির রক্তসরবরাহ সচল রাখাতে দুই হাতের তালু কয়েক মিনিট ঘষে আলতোভাবে হাতের তালু দিয়ে আলাদা করে চোখ বন্ধ রাখুন পাঁচ সেকেন্ড। ধীরে ধীরে নিঃশ্বাস নিতে থাকুন। এতে চোখের বিশ্রাম ও হবে।চোখের মণি বৃত্তাকারে চারপাশে ঘোরাতে চেষ্টা করুন। প্রথমে ওপরের দিকে তাকান, তারপর ঘড়ির কাঁটা যেদিকে ঘোরে, সেদিকে ১০ সেকেন্ড এবং বিপরীত দিকে আরও ১০ সেকেন্ড ধীরে ধীরে ঘোরান। এতে চোখের ক্লান্তি দূর হবে; চোখের পেশিও শক্তিশালী হবে।এক হাত দূরে একটি কলম নিয়ে সোজা কলমটির দিকে তাকিয়ে থাকুন। তারপর ধীরে ধীরে কলমটিকে কাছাকাছি নিয়ে আসেন, যতক্ষণ পর্যন্ত না কলমটিকে ঘোলাটে দেখা যায়। এরপর আবারও কলমটিকে ধীরে ধীরে কাছে থেকে দূরে নিয়ে যান। খেয়াল রাখুন, চোখের দৃষ্টি যেন কলমের দিকে থাকে।ঘুম চোখকে পরিপূণ বিশ্রাম ও পুনর্দৃষ্টির জন্য শক্তি দেয়। অপর্যাপ্ত ঘুম দৃষ্টিশক্তির ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। চোখের সুরক্ষার জন্য প্রতিদিন আট ঘণ্টা ঘুমানো উচিত।গ্রন্থনা: হাবিবুল ইসলাম
66,226
নিজস্ব প্রতিবেদক
bangladesh
বাংলাদেশ
১৩ মার্চ ২০১৪, ০০:৩১
১৩ মার্চ ২০১৪, ০৩:১৭
রানা প্লাজা ধস
0
মোমেনার কান্না, কাঁদলেন অন্যরাও
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/167251
মোমেনা কাজ করতেন সাভারের ধসে পড়া রানা প্লাজার একটি পোশাক কারখানায়। তাঁর ভাইও কাজ করতেন। গত বছরের ২৪ এপ্রিল ভবনটি ধসে পড়ার সময় তিনি ছিলেন ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা। দুর্ঘটনার পর ২০ ঘণ্টা ধ্বংসস্তূপে আটকে ছিলেন তিনি, বাঁ পা চাপা পড়েছিল। পরে ভাইয়ের লাশ পেয়েছেন, বাঁচাতে পারেননি গর্ভের সন্তান। চাপা পড়ে থাকা বাঁ পায়ের মাংসে পচন ধরেছিল।ভাই ও সন্তান হারানোর শোক-কষ্ট এবং নিজের শরীরের যন্ত্রণার কথা বলতে বলতে কান্নায় ভেঙে পড়েন মোমেনা। তাঁর পাশে বসা সোনাবানু, রেহানা, সুরাইয়াদের চোখেও তখন পানি। তাঁদের কেউ রানা প্লাজা ধসে আহত শ্রমিক, আবার কেউ নিহত শ্রমিকের স্বজন। তাঁদের জীবনের কাহিনিও প্রায় একই রকম। গতকাল বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে তাঁরা শোনালেন তাঁদের দুঃখগাথা।মোমেনারা জানালেন, দুর্ঘটনার প্রায় এক বছর হতে চলল। এখনো তাঁরা পাননি ক্ষতিপূরণের টাকা। অনেকে স্বামী নিখোঁজ না মারা গেছেন, তা-ও জানেন না। অনেকে কিছু আর্থিক সহায়তা পেলেও তা স্বামী নিয়ে চলে গেছেন, আবার বিয়ে করেছেন। একজন জানালেন, আর্থিক সহায়তার টাকা তাঁর মা নিয়ে নিয়েছেন।১৪ বছরের ইয়ানুর মায়ের সঙ্গে কাজ করত রানা প্লাজার একটি পোশাক কারখানায়। ওই দুর্ঘটনায় তার মা মারা গেছে, নিজের দুই পায়ে হাঁটুর নিচ থেকে শুধু হাড্ডিটুকু আছে। বাবা আবার বিয়ে করেছেন। ছোট ছোট পাঁচ ভাইবোন তাকে প্রশ্ন করে, ‘মা কই?’ গতকাল সবার উদ্দেশে ইয়ানুরের প্রশ্ন, ‘আপনারাই বলেন, আমি ভাইবোনগুলারে কী জবাব দিমু?’আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ (বিলস) রানা প্লাজার আহত নারী শ্রমিক এবং নিহত শ্রমিকদের পরিবারের কয়েকজন নারীকে নিয়ে গতকাল এ আয়োজন করে। ‘কর্মক্ষেত্রের দুর্যোগ ও নারীর বহুমাত্রিক দুর্ভোগ’ শীর্ষক এ আলোচনা সভায় উপস্থিত আলোচকেরা বলেন, ২৪ এপ্রিলের আগেই আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী শ্রমিকদের দেনা-পাওনা পরিশোধের জন্য সরকারকে চাপ দিতে হবে। একই সঙ্গে যাঁর যা প্রয়োজন, সে অনুযায়ী পুনর্বাসনেরও দাবি জানান।মানবাধিকারকর্মী হামিদা হোসেন বলেন, মালিকেরা আইন মানছেন না বলেই বারবার ঘটছে এ ধরনের দুর্ঘটনা। মালিকদের হাতে ক্ষমতা আছে, তাঁরা জানেন আইন থাকলেও পার পেয়ে যাবেন। অন্যদিকে শ্রমিক কিছু বলবেন না, সরকারও শ্রমিকের কথা শুনবে না। তিনি রানা প্লাজার শ্রমিকদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর তহবিলে কত টাকা জমা হয়েছে, কত টাকা বিতরণ করা হয়েছে, তার হিসাব জনসমক্ষে প্রকাশের দাবি জানান।কলাম লেখক সৈয়দ আবুল মকসুদ দুর্ঘটনার দিনটিকে জাতীয় শ্রমিক সংহতি দিবস হিসেবে পালনের দাবি জানান। তিনি এ দুর্ঘটনাকে একটি দৃষ্টান্ত হিসেবে দেখে সরকারসহ সবাইকে তা থেকে শিক্ষা নেওয়ার আহ্বান জানান।প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম বলেন, রানা প্লাজার দুর্ঘটনায় যে নারী শ্রমিক শারীরিকভাবে খুব বেশি আহত হননি, কিন্তু মানসিক ট্রমার কারণে ভবিষ্যতে সন্তান নিতে চাইলে সেই সন্তানের ওপরও তা প্রভাব ফেলবে। তিনি আহত শ্রমিক এবং নিহত শ্রমিকের পরিবার যাতে বাকি জীবন একটু হলেও ভালোভাবে কাটাতে পারে, সে ধরনের ব্যবস্থার ওপর জোর দেন।আলোচনা সভায় সাংসদ শিরীন আখতার, বিলসের মহাসচিব নজরুল ইসলাম খান, শ্রমিকনেতা মেসবাহউদ্দিন আহমেদ, ওয়াজেদুল ইসলাম খান, সমকাল-এর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক আবু সাঈদ খানসহ অন্যরা বক্তব্য দেন। সভায় সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন বিলসের সহকারী নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহম্মদ।
58,037
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
bangladesh
বাংলাদেশ
১৯ এপ্রিল ২০১৬, ০১:৩২
১৯ এপ্রিল ২০১৬, ০১:৩৩
রাজধানী,রাজধানী (জাতীয়),আইন ও বিচার
0
ছাত্রীকে লাঞ্ছনার অভিযোগে এক কর্মচারীর কারাদণ্ড
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/834034
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি সুফিয়া কামাল হলের এক ছাত্রীকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে মোহাম্মদ আলী নামে এক কর্মচারীকে দুই বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।গতকাল সোমবার দুপুরে মোহাম্মদ আলীকে এ সাজা দেওয়া হয়। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হলের কর্মচারী, একই সঙ্গে সুফিয়া কামাল হলের লন্ড্রিতে কাজ করতেন।সুফিয়া কামাল হলের একাধিক শিক্ষার্থী জানান, রোববার রাত সাড়ে নয়টার দিকে ওই ছাত্রী হলের প্রশাসনিক ভবনের দ্বিতীয় তলায় অবস্থিত লন্ড্রিতে যান মোহাম্মদ আলী। তিনি সেখানে এক ছাত্রীকে একা পেয়ে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন। এ সময় ওই ছাত্রী চিৎকার করলে অন্য ছাত্রীরা এসে মোহাম্মদ আলীকে মারধর করে আটকে রাখেন। পরে হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক নীলুফার নাহার আবাসিক শিক্ষকদের নিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর অধ্যাপক এম আমজাদ আলী এলে তাঁর মাধ্যমে ওই কর্মচারীকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
221,524
-1
entertainment
বিনোদন
২০ মার্চ ২০১৪, ০০:৪১
২০ মার্চ ২০১৪, ০১:০৮
আনন্দ,হলিউড
0
এক গ্রিনের সবুজ স্বপ্ন
http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/172822
ক্যারিয়ারের চতুর্থ ছবিটাই কিনা জেমস বন্ডের! আনন্দে লাফিয়ে তো আকাশ ছুঁয়ে ফেলার কথা। আকাশ ছোঁয়া অসম্ভব? তাহলে অন্তত ঘরের ছাদ? অথচ গোপন তথ্য ফাঁস করছেন এমন ফিসফিস স্বরে এভা গ্রিন জানালেন, ২০০৬ সালে মুক্তি পাওয়া বন্ড সিরিজের নতুন ছবি ক্যাসিনো রয়্যাল-এ যখন কাজ করতে এলেন, তখনো জানতেন না এই ছবি ঘিরে উন্মাদনা এতটা।এমন নয় যে বন্ডের জনপ্রিয়তা সম্পর্কে বকলম ছিলেন এই ফরাসি অভিনেত্রী। জানতেন, এ ছবি নিয়ে উন্মাদনার জ্বর তৈরি হয়। কিন্তু সেই জ্বর যে থার্মোমিটার ভেঙে পারদ ছিটকে বেরোনো জ্বর—তাঁর ধারণাতেই ছিল না। শুটিংয়ের জন্য তাঁর পাশে মৌমাছির মতো সাংবাদিকদের ভিড় দেখেই বুঝতে পারলেন, বন্ড সম্পর্কে যা ভেবেছিলেন, তা আসলে ভুল।‘ইংলিশদের জন্য তো এটা রাজকীয় একটা ব্যাপার। ওরা এটাকে সেভাবেই দেখে। এখন আমি জানি এটা কত বড় একটা ব্যাপার’—বলেছেন গ্রিন।খুব স্বাভাবিকভাবেই ক্যাসিনো রয়্যাল তাঁর জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিল। এমনিতে বন্ডকন্যাদের বেশির ভাগ সময় ছবিতে হাজির করানো হয় স্রেফ সৌন্দর্য বাড়াতে। কিন্তু এরই মধ্যে কিছু কিছু বন্ডকন্যা স্মরণীয় হয়ে আছেন ছবিতে ভিন্ন মাত্রা যোগ করে। গ্রিনের জন্য যুগপৎ ঘটনা ঘটল। তিনি সৌন্দর্য বাড়ালেন, আবার চরিত্রেও যোগ করলেন ভিন্ন মাত্রা। পেয়ে গেলেন সে বছরের বাফটার সেরা নবাগতর পুরস্কার।ইংলিশ ছবিতে তাঁর ক্যারিয়ারটাও পেল ভিন্ন মাত্রা। ক্যাসিনো রয়্যাল-এর পর আরও ছয়টি ছবি করেছেন। কাজ করেছেন একটি ১০ পর্বের ঐতিহাসিক কাহিনিনির্ভর টিভি সিরিজেও। টিম বার্টনের মতো পরিচালকের সঙ্গে কাজ করেছেন ডার্ক শ্যাডোজ্ল-এ। তবে ২০১৪ সালটা যেন ক্যারিয়ারের ভিন্ন একটি অধ্যায় নিয়ে এসেছে তাঁর জন্য। এরই মধ্যে মুক্তি পেয়েছে দুটো ছবি। মুক্তির অপেক্ষায় আছে আরও দুটো। মে থেকে সম্প্রচারিত হবে আট পর্বের টিভি সিরিজ পেনি ড্রেডফুল।সুসময়ের টাট্টু ঘোড়ায় যে ছুটছেন, সেটার প্রমাণ মিলবে বক্স অফিসেও। যুদ্ধের কাহিনিনির্ভর ফ্যান্টাসি ছবি ৩০০: রাইজ অব অ্যান এম্পায়ার মুক্তির পর উঠে এসেছিল বক্স অফিসের শীর্ষে।দন্ত চিকিৎসক বাবার কন্যা বেশ দন্ত বিকশিত করে হাসি দিচ্ছেন। কিন্তু ডেন্টিস্ট বাবার মেয়ে অভিনেত্রী হলো কী করে? প্রশ্নটার মধ্যে আসলে কোনো রহস্যই নেই। তাঁর মা মারলেন জোবার্ট ছিলেন সত্তরের দশকে ফ্রান্সের বেশ জনপ্রিয় অভিনেত্রী। জ্যঁ লুক গদারের মতো পরিচালকের সঙ্গেও কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে মায়ের।কিন্তু তিনি তো দন্ত চিকিৎসকও হতে পারতেন! গ্রিনের উত্তর, ‘মাস্ক পরে মানুষের হা করা মুখের ভেতর উঁকি দেওয়া—ছি, কী বিচ্ছিরি!’অভিনেত্রী যে হবেন, সেটা ঠিক হয়ে গিয়েছিল আসলে শৈশবেই। তবে মানুষের জীবনের একটি-দুটো ঘটনা কীভাবে যে ভবিষ্যৎ নদীর গতিপথ পাল্টে দেয়, সেটা ভেবেই অবাক হন গ্রিন। তাঁর এক যমজ বোন আছে। মাত্র দুই মিনিটের ছোট। একই সঙ্গে মায়ের গর্ভে ছিলেন। একই সঙ্গে পৃথিবীতে এসেছেন। অথচ সেই বোনটা বেছে নিল অখ্যাতির অচেনা অন্ধকার, আর তিনি কিনা খ্যাতির ঝলমলে আলোয়!শৈশবে মায়ের ছবি দেখে দেখে বেড়ে উঠেছেন। মায়ের অভিনয় সম্পর্কে গ্রিনের মূল্যায়ন, ‘তিনি আমার চেয়েও পর্দায় বেশি স্বতঃস্ফূর্ত, সহজাত। তিনি যেন ছোট্ট একটা পাখি, আমার সঙ্গে মেলেই না।’ গ্রিন খোলাসা করলেন, বেড়ে ওঠার দিনগুলোতে মায়ের অভিনয়ে খুব বেশি প্রভাবিত হননি। বরং তাঁকে মুগ্ধ করেছে আরেক ফরাসি অভিনেত্রী ইসাবেল আদজানি।মজার ব্যাপার হলো, ২০০৩ সালে গ্রিনের রুপালি পর্দায় অভিষেকও হয়েছে ইসাবেল নামের চরিত্রটি দিয়ে। সবই ঠিক আছে, কিন্তু গ্রিনের বেশির ভাগ চরিত্রই যেন একটু রহস্য মেঘের আড়ালে ঢাকা। ভারিক্কি ধরনের। গোল্ডেন কম্পাস-এ যেমন অভিনয় করলেন ডাকিনি রানির। ফ্রাঙ্কলিন-এ ছিলেন সিজোফ্রেনিক রোগী। ক্র্যাকস-এ সেই তিনিই আবার খুনে এক স্কুলশিক্ষিকা!গ্রিনও এর থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছেন। বললেন, ‘এরপর এমন কমেডি ছবি করব, হাসতে হাসতে মানুষ খুন হয়ে যাবে!’রাজীব হাসানগার্ডিয়ান অবলম্বনে
59,758
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি ও সরাইল (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
০৮ এপ্রিল ২০১৫, ০২:৪৬
০৮ এপ্রিল ২০১৫, ০২:৫০
বিশাল বাংলা,মৌলভীবাজার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া,অপরাধ
0
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও মৌলভীবাজারে তিনজন খুন
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/498004
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ উত্তরসুরে নির্মাণাধীন একটি ভবনের তত্ত্বাবধায়ক মো. আইয়ুব আলী (৫৫) দুর্বৃত্তদের হাতে খুন হয়েছেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার মহালদারা ও বছিউড়া গ্রামের মধ্যবর্তী ফসলি জমি থেকে পুলিশ গতকাল মঙ্গলবার অজ্ঞাতনামা এক যুবকের (২৬) গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে। এ ছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে এক অটোরিকশাচালক খুন হয়েছেন। আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর:মৌলভীবাজার: শ্রীমঙ্গলে খুন হওয়া আইয়ুব আলী হবিগঞ্জ সদর উপজেলার আদপাশা গ্রামের মুরাই মিয়ার ছেলে। গতকাল সকালে নির্মাণাধীন ভবনের কাছে একটি পুকুরপাড় থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে গতকাল সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে পুলিশ গিয়ে আইয়ুব আলীর লাশ উদ্ধার করে। ভবনটির মালিক সাবেক পুলিশ সুপার এ টি এম তারেক। আইয়ুব আলীর মাথার পেছনে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের একাধিক চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিকভাবে পুলিশের ধারণা, নির্মাণাধীন ভবনের সিমেন্ট চুরিতে বাধা দেওয়ায় দুর্বৃত্তরা তাঁর ওপর হামলা করতে পারে।শ্রীমঙ্গল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জাকির হোসেন বলেন, আইয়ুব আলী ভবনটির দেখাশোনা করতেন। তাঁর কোনো শত্রু ছিল না। তদন্ত চলছে। এখনো মামলা হয়নি।সরাইল (ব্রাহ্মণবাড়িয়া): গতকাল সকাল ১০টার দিকে সরাইলের বছিউড়া গ্রামের এক কৃষক ঘাস কাটতে গিয়ে ফসলি জমিতে এক যুবকের (২৬) গলাকাটা লাশ দেখতে পান। পরে খবর পেয়ে পুলিশ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ওই যুবকের লাশ উদ্ধার করে। উপপরিদর্শক (এসআই) মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিক তদন্তে ধারণা করা হচ্ছে এই যুবককে ধরে এনে ওই জমিতেই গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে।সরাইল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আবদুল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, লাশের পরিচয় পাওয়া যায়নি। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। থানায় মামলা হয়েছে।বাঞ্ছারামপুর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া): ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে জুয়েল মিয়া (২৫) নামের এক সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নবীনগর-কোম্পানীগঞ্জ সড়কের উপজেলার ইব্রাহিমপুর ইউনিয়নের সোহাতা নামক স্থানে নির্মাণাধীন একটি ভবনের পাশ থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। নবীনগর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শাহ্ জালাল বলেন, জুয়েলের গলায় গামছা প্যাঁচানো ছিল। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সুহিলপুর গ্রামের মলাই মিয়ার ছেলে। জুয়েল তিন দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন।
129,579
খেলা ডেস্ক
sports
খেলা
১৬ জুন ২০১৮, ১৮:৫৯
১৯ জুন ২০১৮, ১৪:৫২
ফুটবল,ক্রিকেট,বিশ্বকাপ ফুটবল ২০১৮,অস্ট্রেলিয়া
null
অস্ট্রেলিয়ান ভক্তের আজব খেলা-দর্শন!
http://www.prothom-alo.com/sports/article/1511426
অস্ট্রেলিয়ার খেলাপাগল এক দেশ। কী খেলে না তারা! খেলাপাগল দেশটির আজকের দিনটা ছিল স্মরণকালের সবচেয়ে ব্যস্ত দিন। অস্ট্রেলিয়া ফুটবল দলের ম্যাচ ছিল বিশ্বকাপ। অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের ম্যাচ ছিল, সেটিও চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। পাঁচ ওয়ানডের সিরিজের দ্বিতীয়টি। আরেক দিকে রাগবি ম্যাচ, আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে। তিনটি ম্যাচই একপর্যায়ে একই সঙ্গে চলছিল। মধুর সমস্যা! কোনটা রেখে কোন ম্যাচটা দেখবেন?ভালো বুদ্ধি বের করলেন একজন অস্ট্রেলিয়ান খেলাপাগল। নিজের দেশের খেলা, সেটা তো আর না দেখে থাকা যায় না। সব কটি খেলাই একসঙ্গে দেখছেন তিনি। দুটি টিভি মনিটর ও একটি ট্যাব নিয়ে খেলা দেখা শুরু করেছেন। খেলার গুরুত্ব বুঝে পর্দার আকার বরাদ্দ হয়েছে। বড় টিভিতে ফুটবল ম্যাচ, আর ছোট টিভিতে রাগবি। আর ট্যাবে চলছে ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট ম্যাচ!এর মধ্যে দুই পর্দা থেকে দুঃসংবাদ পেয়েছেন। ফ্রান্সের কাছে ফুটবলে ২-১ গোলে হেরেছে অস্ট্রেলিয়া। অন্যদিকে আয়ারল্যান্ডের কাছে ২৬-২১ পয়েন্টে হেরেছে তাঁদের রাগবি দল। এখন ক্রিকেটই ভরসা। সেখানেও অবস্থা সুবিধার নয়। ৩০ ওভারে ৩ উইকেটে ১৮৪ রান তুলেছে প্রথমে ব্যাট করতে নামা ইংল্যান্ড।
367,462
আনু মুহাম্মদ
opinion
মতামত
১৪ মে ২০১৭, ১১:১৬
১৪ মে ২০১৭, ১১:৩৬
আনু মুহাম্মদ,লেখকের কলাম
null
নীরবতা ভাঙাই বড় লড়াই
http://www.prothom-alo.com/opinion/article/1179481
এক শ্রমজীবী বাবা তাঁর শিশুমেয়েটির ওপর পাড়ার ক্ষমতাবান ছেলেদের লোভী চোখ দেখে দিশেহারা হয়ে পড়েন, তাদের আগ্রাসী ভাবভঙ্গিতে সারা রাত দুশ্চিন্তায় ঘুমাতে পারেন না। পরের দিন সকালে মেয়ের হাত ধরে তিনি যখন বাইরে যাচ্ছেন, তখন মেয়ের মা তাঁকে জিজ্ঞেস করেন, ‘কই যান?’ বাবা বলেন, ‘মেয়েরে নিয়াই সব চিন্তা। কইতে পারি না কী করাম।’ তারপর তিনি রেলস্টেশনে যান। লোকে তাঁকে রেললাইন ধরে উদ্‌ভ্রান্তভাবে হাঁটাহাঁটি করতে দেখে। তারপর ট্রেন যখন কাছে আসে, মেয়েকে রেললাইনে ছুড়ে ফেলে সেই বাবা নিজেও ঝাঁপিয়ে পড়েন। দুজনের এই মৃত্যু বিষয়ে পরে ওই মা কাঁদতে কাঁদতে জানান, ‘এই দুনিয়াতে বিচার নাই। আমার সরল মানুষ, তাই আল্লাহর কাছে বিচার দিত গেছে।’বয়স, ধর্ম, ভাষা, জাতি, পরিচয়, পেশা, যা-ই হোক, নারীর রক্ষা নেই। ঘরে, বাইরে, পথে, কর্মস্থলে, বাসে, যেখানেই হোক, ভয়, সংকোচ, নিরাপত্তাহীনতার বোধ তার সঙ্গে সঙ্গেই চলে। কতিপয় পুরুষের জন্যই নারীর এই অবস্থা। এটাই আবার নারীর স্বজন পুরুষ, পিতা, ভাই, পুত্র, সঙ্গী, বন্ধুদের জীবনকে বিভীষিকাময় করে তোলে। যে সমাজে নারী নিরাপত্তা পায় না, সে সমাজে পুরুষও নিরাপদে স্বস্তিতে থাকতে পারে না।সোনা চোরাচালানি ও খুনি বলে নিজেকে পরিচয় দেওয়া দুর্বৃত্ত অস্ত্র হাতে হুমকি দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ছাত্রীকে বলে, সে ধর্ষণ করলে প্রশাসন তার কিছুই করতে পারবে না। এই ক্ষমতার বোধ, সমাজে বিত্ত উপার্জনের চোরাই পথ, রাজনীতির সন্ত্রাসী শক্তি ধর্ষণকাজকে স্বাভাবিক বলে মনে করে। আর যারা নিপীড়িত-সমাজ, তাদের মুখ লুকাতে বলে, মরে যেতে বলে। তার বিরুদ্ধে পুরুষতান্ত্রিক অভিযোগ তার পোশাক নিয়ে, তার শরীর, তার চলাফেরা নিয়ে।একজন পুরুষ যে পোশাকই গায়ে দিক, দিনরাতের যেকোনো সময় সে রাস্তায় বের হোক, সে জন্য তার ওপর চড়াও হওয়ার, নির্যাতন করার অধিকার নারী-পুরুষ, পুলিশ, র‌্যাব, কারও নেই। একই কারণে কোনো নারীর পোশাক যা-ই থাকুক, দিনরাত যেকোনো সময়েই দরকারে বা অদরকারে সে ঘরের বার হোক কিংবা ঘরে বা যেখানেই থাকুক, কোনো অজুহাতে তার ওপর চড়াও হওয়ার, যৌন নিপীড়ন বা ধর্ষণের যুক্তি বা অধিকার কারও তৈরি হয় না। পোশাক বা স্থান বা ‘চরিত্র’ নিয়ে কথা বানিয়ে যারা ধর্ষণ বা যৌন নিপীড়নের পক্ষে যুক্তি সাজায়, বুঝে হোক বা না বুঝে, তারা আসলে নিপীড়ক ধর্ষকের শক্তিই বৃদ্ধি করে, নতুন নিপীড়ক ধর্ষক তৈরি করে। সমাজে নিপীড়নের পক্ষে এসব লোক থাকে বলেই নিপীড়নকারীরা টিকে থাকে। পুলিশের ভূমিকা রাষ্ট্রের নিপীড়ক-ধর্ষক পক্ষপাতের বহিঃপ্রকাশ, কারণ এরা ক্ষমতারই সম্প্রসারণ। এসবের বিরুদ্ধে ঘরে-বাইরে প্রতিবাদ প্রতিরোধ না ছড়ালে পথে, উৎসবে, কাজে, শিক্ষাঙ্গনে, বাসে, ঘরে, কোথাও নারী নিরাপদে মানসিক চাপমুক্ত হয়ে চলাফেরা করতে পারবে না।নিপীড়নের জগতে নীরবতা ভাঙাই একটা বড় কাজ। মানুষের নীরবতা আর নিষ্ক্রিয়তাই দুর্বৃত্তদের রক্ষা করে, মুখোশ অটুট রাখে। নানা মাত্রায় যৌন হয়রানি, নিপীড়ন, এমনকি ধর্ষণের ভয়ংকর অভিজ্ঞতার পরও ভুল সামাজিক মূল্যবোধ, লজ্জা আর অনুশাসনের কারণে বহুজন নিজের ভেতর যন্ত্রণা বহন করতে থাকেন, অপরাধীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে বা সে কাজে সমষ্টিকে যুক্ত করতে পারেন না। এসব ভুল ‘মানসম্মান’ অস্বীকার করে সর্বশেষ যাঁরা নীরবতা ভেঙেছেন, তাঁদের কারণেই সমাজ চিনছে আপন জুয়েলার্স, রেইনট্রি হোটেল, বনানী থানার দুর্বৃত্ত পালন কারখানা; মুখোশ খুলছে শয়তানদের। নীরবতা ভাঙতে গিয়ে এই নারীরা ঝুঁকি নিয়েছে, কিন্তু শক্তি জুগিয়েছে আরও বহুজনকে। তাদের সালাম জানাই। জানি তাদের জন্য আরও অনেক আক্রমণ অপেক্ষা করে আছে। মামলা, সাক্ষ্য, শুনানি, সবই একেকটি নির্যাতনপর্ব। তারপরও বলব, শুধু নিজেদের জন্যই নয়, আরও বহুজনের স্বার্থে এই নীরবতা ভাঙার জোয়ার তৈরি হলে ধর্ষক-নিপীড়ক-জালেমদের পালানোর পথ থাকবে না।
317,238
-1
sports
খেলা
১৯ জানুয়ারি ২০১৫, ০২:২৫
১৯ জানুয়ারি ২০১৫, ০২:২৭
খেলা,আন্তর্জাতিক ফুটবল
0
উজবেকদের কাছে সৌদির হার
http://www.prothom-alo.com/sports/article/428122
এশিয়ান কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠল উজবেকিস্তান। উজবেকদের কাছে কাল অপ্রত্যাশিতভাবে ৩-১ গোলে হেরে গেছে তিনবারের চ্যাম্পিয়ন সৌদি আরব। আল সালাউয়ির গোলে প্রথমে এগিয়ে গিয়েছিল সৌদি আরবই। কিন্তু পরে ঘুরে দাঁড়ায় উজেবেকিস্তান। রাশিদভ ২টি এবং শোদিয়েভ একটি গোল করেন। শেষ আটে উজবেকিস্তানের প্রতিপক্ষ দুবারের চ্যাম্পিয়ন দক্ষিণ কোরিয়া। এএফপি।
107,983
নিজস্ব প্রতিবেদক
bangladesh
বাংলাদেশ
২৮ এপ্রিল ২০১৬, ১৭:১৬
২৮ এপ্রিল ২০১৬, ১৭:৪৭
সরকার
null
শুক্রবারের মধ্যেই বিদ্যুতের অবস্থা স্বাভাবিক
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/843580
আগামীকাল শুক্রবারের মধ্যেই বিদ্যুতের অবস্থা স্বাভাবিক হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। এক সপ্তাহ যাবৎ ঢাকাসহ চট্টগ্রাম ও উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুৎ না থাকার মানুষ কষ্ট পাওয়ায় দুঃখও প্রকাশ করেন। গতকাল বুধবার ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এসব কথা বলেন।নসরুল হামিদ বলেন, আপনারা হয়তো জেনে থাকবেন, নৌযান ও নৌপরিবহনের শ্রমিকেরা এক সপ্তাহ ধরে তাঁদের বিভিন্ন দাবি আদায়ে ধর্মঘট করেছেন। যার ফলে সারা দেশে নৌপথে জ্বালানি তেল সরবরাহ প্রচণ্ড আকারে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এ জন্য তেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোতে বিদ্যুৎ উৎপাদন মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে এবং প্রায় ১৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কম উৎপাদিত হচ্ছে। একই সঙ্গে তেল না পাওয়ায় ফসলি জমিতে সেচকাজও স্থবির হয়ে পড়েছে।বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমি ও নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান নৌযানমালিক ও শ্রমিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছি। বৈঠকে শ্রমিকদের দাবি পূরণের আশ্বাস দেন মালিকেরা। দেশ যখন বিদ্যুৎ উৎপাদনে রেকর্ড করছে এবং জনগণের সেবার জন্য কাজ করে যাচ্ছে বিদ্যুৎ বিভাগ, তখনই সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে গভীর ষড়যন্ত্র করছে একটি স্বার্থান্বেষী মহল। আমরা আশা করি, কোনো মহলই তাদের দাবি আদায়ের জন্য সাধারণ মানুষকে জিম্মি করবে না। আমরা আশা করছি, আগামী শুক্রবারের মধ্যেই দেশে বিদ্যুতের অবস্থা স্বাভাবিক হবে।’
224,259
বিশাল বাংলা ডেস্ক
bangladesh
বাংলাদেশ
০৭ এপ্রিল ২০১৫, ০২:৩৭
০৭ এপ্রিল ২০১৫, ০২:৩৯
বিশাল বাংলা,দুর্ঘটনা
0
ঝড়ে কুষ্টিয়া ও ফরিদপুরে আরও তিনজনের মৃত্যু
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/497164
দেশের কয়েকটি জেলার ওপর দিয়ে গত শনিবার বয়ে যাওয়া প্রচণ্ড ঝড়ের পর গতকাল সোমবার এবং এর আগের দিনও কিছু স্থানে ঝড় হয়েছে। ঝড়ে কুষ্টিয়া ও ফরিদপুরে মারা গেছেন আরও তিনজন। এ নিয়ে গত তিন দিনে ঝড়ে মারা গেলেন ৩৯ জন।কুষ্টিয়ার কয়েকটি উপজেলায় গত রোববার দিবাগত রাত তিনটার দিকে বয়ে যায় কালবৈশাখী। এতে দুই নারী মারা গেছেন। আহত হয়েছেন একজন। ঝড়ে বোরো ধানসহ প্রায় পাঁচ হাজার হেক্টর জমির ফসল সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গেছে।জেলা প্রশাসক সৈয়দ বেলাল হোসেন গতকাল বিকেলে দুজন নিহত হওয়ার বিষয় নিশ্চিত করেছেন। নিহত দুই নারী হলেন কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বাঘডাঙ্গা গ্রামের নেহারুন নেছা (৫০) ও আবদালপুর গ্রামের রাহেলা আক্তার (৭০)। আহত ব্যক্তি কর্দবাখইল গ্রামের শহর আলী (৫০)।নেহারুন দেয়াল চাপা পড়ে মারা যান। আর ঝড়ের সময় আতঙ্কে অসুস্থ হয়ে পড়ার একপর্যায়ে মারা যান রাহেলা। এদিকে শহর আলী রাতে ঝড়ের মধ্যে নিখোঁজ ছিলেন। লোকজন গতকাল সকালে বাড়ির পাশে মাঠ থেকে তাঁকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে। তাঁর শরীরে শিলের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাঁকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে সদর, মিরপুর, দৌলতপুর, কুমারখালী উপজেলার সহস্রাধিক বাড়িঘরের টিনের চাল দুমড়ে-মুচড়ে গেছে। নষ্ট হয়েছে সহস্রাধিক হেক্টর জমির ফসল। উপড়ে গেছে এবং ভেঙে পড়েছে শত শত গাছ।নিখোঁজ জেলের লাশ উদ্ধার: ফরিদপুরে শনিবার ঝড়ে ট্রলারডুবিতে নিখোঁজ জেলে কালাম শেখের (৪৫) লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল সকালে মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার মাওয়া ঘাট থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়। কালাম ফরিদপুর সদর উপজেলার মমিন মাতুব্বরের ডাঙ্গী গ্রামের মৃত মোহাম্মদ শেখের ছেলে।শনিবার ফরিদপুর সদর উপজেলার চরডোলই এলাকায় একটি ট্রলারে করে কালাম শেখ, চান মিয়া ও মো. দুলাল পদ্মায় মাছ ধরতে গিয়েছিলেন। সন্ধ্যায় ঝড়ে ট্রলারটি ডুবে যায়। চান মিয়া ও মো. দুলাল জীবিত উদ্ধার হলেও নিখোঁজ ছিলেন কালাম শেখ।অন্যান্য স্থানের চিত্র: ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলায় গতকাল ভোরে ঝড়ে ছয়টি ইউনিয়ন লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। বিধ্বস্ত হয়েছে পাঁচ শতাধিক কাঁচা ঘরবাড়ি। শিলাবৃষ্টিতে ফসলেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ভেঙে গেছে বহু গাছপালা। অন্তত ছয়জন আহত হয়েছেন।এলাকাবাসী জানান, ভোর সাড়ে চারটার দিকে প্রচণ্ড বেগে ওই ঝড় ও শিলাবৃষ্টি হয়। আধা ঘণ্টার এ ঝড়ে পৌর এলাকা, ত্রিবেণী, কাঁচেরকোল, মির্জাপুর, সারুটিয়া ও দিগনগর ইউনিয়নের অন্তত ২০টি গ্রাম লন্ডভন্ড হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সন্দ্বীপ কুমার সরকার জানান, ৪৮০ হেক্টর জমির ধান মাটিতে মিশে গেছে।এদিকে যশোরের অভয়নগর উপজেলায় গত রোববার দুপুরে বয়ে যাওয়া ঝড়ে ফসল ও গাছপালার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। অনেক কাঁচা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের টিনের চাল উড়ে গেছে। উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকায় বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।{প্রতিবেদন তৈরিতে সহায়তা করেছেন প্রথম আলোর সংশ্লিষ্ট এলাকার নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিরা}
129,276
-1
life-style
জীবনযাপন
৩১ অক্টোবর ২০১৭, ১৫:৫৩
৩১ অক্টোবর ২০১৭, ১৬:০৩
নকশা,খাবারদাবার
0
স্বাদ দিয়ে শাক ঢাকা
http://www.prothom-alo.com/life-style/article/1355421
পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ শাক। একটু ভিন্নভাবে রাঁধলে সাধারণ শাকটাই অসাধারণ স্বাদ নিয়ে আসবে। রেসিপি দিয়েছেন ফারাহ্‌ সুবর্ণাগরুর মাংসে পুঁইশাকউপকরণ: পুঁইশাক ১ আঁটি, গরুর হাড় ছাড়া মাংস ২৫০ গ্রাম, পেঁয়াজ কুচি আধা কাপ, রসুন কুচি ২ কোয়া, আদাবাটা আধা চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচের ৩ ভাগের ১ ভাগ, হলুদ গুঁড়ো ১ চা-চামচ, মরিচ গুঁড়ো আধা চা-চামচ, জিরার গুঁড়ো ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ৪-৫টি, আস্ত শুকনা মরিচ ২-৩টি, লবণ স্বাদমতো, তেল আধা কাপ।প্রণালি: পুঁইশাকের পাতা আর ডাঁটা আলাদা করে বেছে কেটে রাখুন। ডাঁটাগুলো অল্প লবণ দিয়ে সেদ্ধ করে নিন। গরুর মাংস ছোট ছোট টুকরো করে কেটে নিতে হবে। চাইলে ছেঁচেও নেওয়া যেতে পারে। অর্ধেক পেঁয়াজ কুচি, আদাবাটা, রসুনবাটা, আধা চা-চামচ জিরা গুঁড়ো, আধা চা-চামচ হলুদ গুঁড়ো, মরিচ গুঁড়ো, স্বাদমতো লবণ আর অল্প তেল দিয়ে গরুর মাংস নরম ও শুকনো করে রান্না করে নিন। একটা আলাদা প্যানে বাকি তেল গরম করে তাতে আস্ত শুকনো মরিচ ফোড়ন দিন। এবার পেঁয়াজ-রসুন কুচি লালচে করে ভেজে নিয়ে হলুদ ও জিরার গুঁড়ো দিয়ে কষিয়ে নিন। অল্প করে পানি দিয়ে শাক দিয়ে দিন। শাক আধা সেদ্ধ হয়ে এলে আগে থেকে সেদ্ধ করে রাখা ডাঁটা, রান্না করে রাখা গরুর মাংস, স্বাদমতো লবণ আর ফালি বা আস্ত কাঁচা মরিচ (যেমন ঝাল পছন্দ) মিশিয়ে অল্প আঁচে মিনিট দশেক রেখে পানি শুকিয়ে নামিয়ে নিন।মুলার শাকে চিংড়ির পাকোড়াউপকরণ: কচি মুলার শাক ২ আঁটি, ছোট চিংড়ি ১ কাপ, ডিম ১টি, ময়দা ২ টেবিল চামচ, পেঁয়াজ কুচি আধা কাপ, হলুদ গুঁড়ো ১ চা-চামচের ৩ ভাগের ১ ভাগ, কাঁচা মরিচ কুচি স্বাদমতো, লবণ স্বাদমতো, তেল ভাজার জন্য (ডুবোতেল)।প্রণালি: মুলার শাকের ডাঁটা ফেলে দিয়ে কেবল পাতার অংশ বেছে নিয়ে ভালো করে ধুয়ে মিহি কুচি করে নিতে হবে। তারপর ফুটন্ত লবণপানিতে দিয়ে মিনিট দশেক সেদ্ধ করে নিয়ে পানি ঝরিয়ে রাখতে হবে। পানি ঝরে ঠান্ডা হলে ভালো করে পানি চিপে ফেলে দিতে হবে। ছোট চিংড়ি, অল্প লবণ ও হলুদ মেখে হালকা করে ভেজে কিচেন টিস্যুতে তুলে তেল ঝরিয়ে নিতে হবে। তারপর তেল বাদে সেদ্ধ শাক, ভাজা চিংড়ি ও অন্যান্য উপকরণ একসঙ্গে মিশিয়ে পেঁয়াজির মতো মেখে নিন। ডিম পুরোটা নাও লাগতে পারে। তারপর প্যানে তেল গরম করে মেখে রাখা মিশ্রণ থেকে পাকোড়ার আকারে গড়ে গরম তেলে ছেড়ে দিয়ে কম আঁচে সোনালি করে ভেজে গরম-গরম পরিবেশন করুন।পালং-মাশরুমের স্যুপউপকরণ: পালংশাক কুচি ৩ কাপ, মাশরুম কুচি আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ২ টেবিল চামচ, রসুন কুচি আধা চা-চামচ, ময়দা ১ টেবিল চামচ, গোলমরিচ গুঁড়ো স্বাদমতো, লবণ স্বাদ অনুযায়ী, মাখন বা জলপাই তেল ২ টেবিল চামচ, পানি বা চিকেন স্টক ৪ কাপ, ক্রিম ২ টেবিল চামচ (ইচ্ছে হলে দিতে পারেন)।প্রণালি: ডাঁটা বাদে পালংশাকের পাতার অংশ বেছে ধুয়ে নিন। বড় পালংশাক না নিয়ে ছোট, কচি পালংশাক ব্যবহার করতে হবে। ফুটন্ত লবণপানিতে ১ মিনিট রেখে দিন। এবার পালংশাক তুলে নিয়ে বরফ পানিতে রেখে ঠান্ডা করে পানি নিংড়ে নিয়ে কুচি করে নিতে হবে। প্যানে ১ টেবিল চামচ তেল বা মাখন দিয়ে তাতে অর্ধেক রসুন কুচি হালকা ভেজে নিন। পেঁয়াজ কুচি দিয়ে হালকা রং না হওয়া পর্যন্ত ভাজতে হবে। এরপর ময়দা দিয়ে একটু ভেজে নিয়ে সেদ্ধ পালংশাক দিয়ে ২-১ মিনিট ভেজে পানি বা চিকেন স্টক দিয়ে দিন। শাকসমেত পানি ফুটে উঠলে তা নামিয়ে মোটামুটি ঠান্ডা হলে ব্লেন্ডারে দিয়ে ব্লেন্ড করে নিতে হবে। একটা প্যানে সামান্য মাখন আর বাকি রসুন কুচি দিয়ে হালকা করে ভেজে তাতে মাশরুম কুচি দিয়ে ৩-৪ মিনিট ভেজে নিন। ব্লেন্ড করা পালং দিয়ে চুলায় জ্বালে বসিয়ে স্বাদমতো লবণ আর গোলমরিচ গুঁড়ো মিশিয়ে আবারও ফুটিয়ে নিয়ে ক্রিম মিশিয়ে নামিয়ে নিয়ে গরম-গরম পরিবেশন করতে হবে।মুচমুচে কলমিউপকরণ: কলমির শাক ১ আঁটি, ময়দা আধা কাপ, কর্ন ফ্লাওয়ার আধা কাপ, বেকিং পাউডার ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচের ৩ ভাগের ১ ভাগ, গোলমরিচ গুঁড়ো স্বাদমতো, লবণ স্বাদমতো, বরফ ঠান্ডা পানি ১ কাপ, তেল ভাজার জন্য (ডুবো তেলে ভাজতে হবে)।ডিপিং সস তৈরির উপকরণ: সয়াসস সিকি কাপ, লেবুর রস ১ কাপের ৩ ভাগের ১ ভাগ, তিলের তেল ২ চা-চামচ, চিলি ফ্লেক্স সিকি চা-চামচ, চিনি স্বাদমতো (অল্প)।প্রণালি: মোটা ডাঁটা বাদ দিয়ে কলমির শাকের পাতা আর পাতার সঙ্গের ডাঁটা বেছে নিয়ে ভালো করে ধুয়েমুছে নিতে হবে। তেল বাদে বাকি সব উপকরণ দিয়ে মসৃণ গোলা তৈরি করে গরম ডুবোতেলে সোনালি করে ভেজে কিচেন টিস্যুতে তুলে নিন। ডিপিং সসের উপকরণগুলো একসঙ্গে মিশিয়ে নিয়ে ছোট পরিবেশন পাত্রে ঢেলে গরম মুচমুচে কলমির সঙ্গে পরিবেশন করুন।রুই মাছ-লাউশাক ভর্তাউপকরণ: লাউপাতা ২০-২৫টি, রুই মাছ ৩-৪ টুকরা (পিঠের মাছ), পেঁয়াজ ১টি (বড়, মোটা করে কাটা), রসুন ৩ কোয়া, হলুদ গুঁড়ো ১ চা-চামচের ৩ ভাগের ১ ভাগ, কাঁচা মরিচ ৪-৫টি (স্বাদমতো দিলে ভালো), লবণ স্বাদমতো, সরিষার তেল ৪ টেবিল চামচ।প্রণালি: লাউপাতা আঁশ ফেলে ভালো করে ধুয়ে অল্প লবণপানিতে ভাপিয়ে নিতে হবে। লবণ, হলুদ মেখে মাছ হালকা ভেজে কাঁটা বেছে রাখতে হবে। মাছ ভাজা তেল থেকে তেল একদম কমিয়ে তাতে পেঁয়াজ, রসুন, কাঁচা মরিচ, স্বাদমতো লবণ আর ভাপানো শাক দিয়ে ভেজে পানি শুকিয়ে নিতে হবে। তারপর শাক আর ভাজা মাছ শিল-পাটা বা মিক্সিতে দিয়ে মসৃণ করে বেটে নিলেই সুস্বাদু ভর্তা তৈরি।
342,954
-1
economy
অর্থনীতি
১৪ এপ্রিল ২০১৭, ০০:০৪
১৪ এপ্রিল ২০১৭, ০৩:১২
প্রতিষ্ঠানের খবর
0
সোনারগাঁও হোটেল শ্রমিক–কর্মচারীদের নতুন কমিটি
http://www.prothom-alo.com/economy/article/1145081
সোনারগাঁও হোটেল শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের ৯ সদস্যের নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। নির্বাচনে আমিন-লস্কর পরিষদের সব প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। নতুন কমিটিতে আমিনুল ইসলাম সভাপতি ও আবদুল্লাহ আল শরীফ লস্কর সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন মো. আজম খান (সহসভাপতি-১), শফিকুল ইসলাম (সহসভাপতি-২), সাইফুল ইসলাম (যুগ্ম সম্পাদক), মো. ফারুক হোসেন (কোষাধ্যক্ষ), মো. সিদ্দিকুর রহমান (সাংগঠনিক ও দপ্তর সম্পাদক), লিয়ং উইলিয়াম কোরাইয়্যা (সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া সম্পাদক), ইলোরা এগ্নেস মং (মহিলা সম্পাদক)। ১০ এপ্রিল নবনির্বাচিত কমিটি দায়িত্ব গ্রহণ করে। বিজ্ঞপ্তি
311,498
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
bangladesh
বাংলাদেশ
২৮ মে ২০১৬, ০১:৪১
২৮ মে ২০১৬, ০১:৪৪
মহানগর,চট্টগ্রাম,চট্টগ্রাম বিভাগ
null
‘তদবিরই এখন উপাচার্য নিয়োগের মাপকাঠি’
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/870769
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের ইউজিসি অধ্যাপক মইনুল ইসলাম বলেছেন, পাণ্ডিত্য আর মেধার জোরে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে উপাচার্য হওয়া যায় না। এ জন্য তদবির লাগে। এখন উপাচার্য নিয়োগের মাপকাঠি হয়ে গেছে কে কত তদবির করতে পারেন, কে কতবার মন্ত্রীর বাসায় যেতে পারেন এবং প্রধানমন্ত্রীর কাছে যেতে পারেন।চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ও সাবেক উপাচার্য আলমগীর মোহাম্মদ সিরাজুদ্দীনের সম্মানে রচিত গবেষণাগ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন অধ্যাপক মইনুল ইসলাম। গতকাল শুক্রবার চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।বাংলাদেশ হিস্ট্রি, পলিটিকস, ইকোনমি, সোসাইটি অ্যান্ড কালচার: অ্যাসেস ইন অনার অব প্রফেসর আলমগীর মোহাম্মদ সিরাজুদ্দীন শীর্ষক গবেষণাগ্রন্থটি সম্পাদনা করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক মাহমুদুল হক। এই বইয়ে দেশ ও বিদেশের ৩০ জন গবেষকের ৩০টি প্রবন্ধ রয়েছে।গবেষণাগ্রন্থ নিয়ে আলোচনা করার সময় মইনুল ইসলাম বলেন, দেশের গণতন্ত্র এখন গভীর সংকটে রয়েছে। এই সংকট সহজে কাটবে না। তত্ত্বাবধায়ক সরকারও আর আসবে না। গণতন্ত্রের নামে এখন প্রহসন ও জালিয়াতি চলছে। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে কালোটাকা ও পেশিশক্তির দাপট চলছে। ক্ষমতাসীন দল ও জোটের এই দাপট থেকে রাজনীতি সহজে মুক্তি পাবে না।অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, রাজনীতির কারণে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এখন লাঠিয়াল পালনের কারখানা হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। দুঃখজনকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরাও লেজুড়বৃত্তির রাজনীতিতে নিমগ্ন হয়ে আছেন। রাজনীতি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে প্রায় গ্রাস করে ফেলেছে।ইস্ট ডেল্টা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও প্রবীণ অর্থনীতিবিদ মুহাম্মদ সিকান্দর খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এ জে এম নুরুদ্দীন চৌধুরী ও আনোয়ারুল আজিম আরিফ, মাওলানা ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মোহাম্মদ আলাউদ্দিন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য শিরীণ আখতার, চট্টগ্রাম ইনডিপেনডেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মাহফুজুল হক চৌধুরী, কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আবুল কাশেম, চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজের ট্রাস্টি বোর্ডের সভাপতি অধ্যাপক এ এস এম ফজলুল করিম, আসমা সিরাজুদ্দীন প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান।চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আলমগীর মোহাম্মদ সিরাজুদ্দীন বলেন, ‘আমি বার অ্যাট ল করলেও আইন পেশায় না গিয়ে শিক্ষকতায় চলে এসেছি। আজকে আমাকে যে সম্মান দেওয়া হয়েছে, একজন শিক্ষক-গবেষকের পক্ষে এর চেয়ে বেশি কিছু আর পাওয়ার নেই। আমি সকলের কাছে কৃতজ্ঞ।’অনুষ্ঠানে গবেষণাগ্রন্থের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে কবি ও সাংবাদিক আবুল মোমেন বলেন, ‘আমরা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে পারছি না। প্রতিষ্ঠানগুলো সমাজের কাছে বিশেষ অবদান রাখতে পারছে না। সমাজে রাজনীতি অনেক বেশি জায়গা দখল করে ফেলেছে। প্রকৃত গবেষণা ও জ্ঞান থেকে সমাজ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে। এখন রাজনৈতিক মহল থেকে গবেষণা সম্পর্কে উপহাস করা হয়। গবেষণা খাতে এখনো কম বরাদ্দ দেওয়া হয়।’ তিনি বলেন, ‘আমরা জ্ঞানভিত্তিক সমাজের কথা বলি। কিন্তু জানি না এটি কীভাবে হবে।’
226,858
অনলাইন ডেস্ক
technology
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
০৮ আগস্ট ২০১৩, ১৫:৩৪
০৮ আগস্ট ২০১৩, ১৫:৩৭
কম্পিউটার
null
যে ল্যাপটপে প্রয়োজন নেই বিদ্যুতের!
http://www.prothom-alo.com/technology/article/36824
তৈরি হয়েছে এমন ল্যাপটপ, যা চালাতে কোনদিনই বিদ্যুত্ সংযোগ প্রয়োজন পড়বে না। ল্যাপটপের সঙ্গে যুক্ত থাকা শক্তিশালী সৌরকোষই শক্তি জোগাবে ল্যাপটপকে।কানাডার টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠান উইওয়াই সম্প্রতি সৌরশক্তিচালিত বিশেষ এ ল্যাপটপ বাজারে আনার ঘোষণা দিয়েছে। প্রযুক্তি বিষয়ক ওয়েবসাইট গিজম্যাগে এ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।সৌরশক্তিনির্ভর এ ল্যাপটপের নাম ‘এসওএল’। ল্যাপটপটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের ভাষ্য হচ্ছে, এসওএল চালাতে চার্জের প্রয়োজনে কখনও বৈদ্যুতিক সকেটের ওপর নির্ভর করার প্রয়োজন পড়বে না। ওপেন সোর্স ভিত্তিক উবুন্টু অপারেটিং সিস্টেমনির্ভর ল্যাপটপটিতে ডেটা কেবলযুক্ত সোলার প্যানেল রয়েছে, যার ফলে দুই ঘণ্টা সূর্যের আলোতে রাখলেই দশ ঘণ্টা চলার উপযোগী ব্যাটারি চার্জ হয়ে যায়। অবশ্য, পাশাপাশি বিদ্যুতের সাহায্যে চালানোর সুবিধাও রয়েছে এতে।নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এসওএল ল্যাপটপটি পরিবেশবান্ধব। কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গমন রোধ ও পরিবেশের সুরক্ষায় এর ভূমিকা থাকবে। উন্নয়নশীল দেশগুলোর শিক্ষার্থীদের কাছে এ ল্যাপটপ জনপ্রিয় হবে বলেই আশা করছেন তাঁরা। ল্যাপটপটির দাম পড়বে ৩৫০ মার্কিন ডলার।১৩ দশমিক তিন ইঞ্চি মাপের এলসিডি এইচডি স্ক্রিনযুক্ত এ ল্যাপটপে রয়েছে ইনটেল অ্যাটম প্রসেসর, ৩২০ গিগাবাইট তথ্য সংরক্ষণ সুবিধা, দুই ও চার গিগাবাইট র্যাম সুবিধা।শিগগিরই এসওএল ল্যাপটপ বাজারে আনার পরিকল্পনা করেছে কানাডার টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠানটি।এসওএল ল্যাপটপ সম্পর্কে বিস্তারিত জানার লিংক http://solaptop.com/
8,243
-1
bangladesh
বাংলাদেশ
০৯ জানুয়ারি ২০১৪, ০০:৫৪
০৯ জানুয়ারি ২০১৪, ০০:৫৫
আমার চট্টগ্রাম
0
শিল্পী মান্না দের স্মরণানুষ্ঠান
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/118705
দি চিটাগাং ট্রাস্ট বাংলাদেশ আয়োজিত উপমহাদেশের কিংবদন্তি শিল্পী মান্না দের স্মরণানুষ্ঠান বিসিডিএস ভবনে ৩ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়। ট্রাস্টের চেয়ারম্যান স্বদেশ চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উদ্বোধক ছিলেন সমাজসেবী দিলীপ কুমার শীল। প্রধান অতিথি ছিলেন দৈনিক আজাদীর সহকারী সম্পাদক অরুণ দাশ গুপ্ত। বক্তব্য দেন ট্রাস্টের মহাসচিব অরুণ কান্তি মল্লিক, লোককবি কল্পতরু ভট্টাচার্য, অধ্যাপক রাজীব বিশ্বাস, রুপক মজুমদার, ভগীরথ দে, অধ্যাপক রুপন ধর প্রমুখ। কথামালার ফাঁকে গান করেন সুমন সেন, জয়া দত্ত, ডা. বিবরণ দাশ, লিটন সেন, টিনা দাশ ও বৃষ্টি মজুমদার। শেষে প্রয়াত শিল্পী মান্না দের কালজয়ী গানগুলো একে একে পরিবেশন করেন কণ্ঠশিল্পী রাজীব ভট্টাচার্য। বিজ্ঞপ্তি।
42,302
বাসস, ঢাকা
bangladesh
বাংলাদেশ
২১ মার্চ ২০১৮, ১৫:৪৯
২১ মার্চ ২০১৮, ১৫:৫০
আইন ও বিচার,মানবতাবিরোধী অপরাধ
0
রিয়াজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে মামলার রায় যেকোনো দিন
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1454351
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ার রিয়াজ উদ্দিন ফকিরের বিরুদ্ধে যেকোনো দিন রায় ঘোষণা করবেন ট্রাইব্যুনাল। আজ বুধবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ উভয় পক্ষের শুনানি শেষে মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ (সিএভি) রাখেন।আসামি রিয়াজ উদ্দিন ফকির কারাগারে আছেন।আসামি পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মুজাহিদুল ইসলাম শাহীন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন আইনজীবী ঋষিকেষ সাহা।এটি হবে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ৩২তম রায়। মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধ তথা যুদ্ধাপরাধে জড়িতদের বিচারে গঠিত এ ট্রাইব্যুনাল এর আগে আরও ৩১টি মামলার রায় ঘোষণা করেছে। গত ১৩ মার্চ মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধ তথা যুদ্ধাপরাধে ৩১তম মামলার রায় ঘোষণা করা হয়।এদিকে, মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় হবিগঞ্জের লাখাইয়ের শফি উদ্দিন মাওলানা, তাজুল ইসলাম ওরফে ফোকন এবং জাহিদ মিয়া নামে ৩ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন পূর্ণাঙ্গ করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। আসামিদের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদনে গণহত্যা, হত্যা, আটক, নির্যাতন, অপহরণসহ বেশ কয়েকটি অভিযোগ আনা হয়েছে ।মুক্তিযুদ্ধের সময় হবিগঞ্জের লাখাইয়ের বিভিন্ন স্থানে আসামিরা এসব অপরাধ সংগঠন করেন বলে উল্লেখ করা হয়েছ তদন্ত প্রতিবেদনে। আসামিদের মধ্যে শফি উদ্দিন মাওলানা ছাড়া বাকি দুজন গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে রয়েছেন।আজ বুধবার ধানমন্ডিতে তদন্ত সংস্থার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। এ সময় তদন্ত সংস্থার কর্মকর্তা আব্দুল হান্নান খান ও সানাউল হক উপস্থিত ছিলেন।
358,556
ক্রীড়া প্রতিবেদক
sports
খেলা
০৫ আগস্ট ২০১৩, ০২:১৪
০৫ আগস্ট ২০১৩, ০২:১৮
খেলা
null
ওমানে খেলবেন জিমি
http://www.prothom-alo.com/sports/article/35098
দলবদল নিয়ে ঘরোয়া হকিতে চলছে ঘোর অনিশ্চয়তা। তাতে কি, রাসেল মাহমুদ জিমিকে অন্তত এই অনিশ্চয়তা গ্রাস করতে পারছে না। জার্মানি, বেলজিয়াম ও ওমানে খেলার প্রস্তাব আছে তাঁর হাতে। জার্মানিতে তিন বছর ধরে খেলছেন। সম্প্রতি মিউনিখের রেড হোয়াইট ক্লাবকে বুন্দেসলিগার দ্বিতীয় স্তরে তুলতে রেখেছেন বড় অবদান। জিমির খেলা দেখে বেলজিয়ামের ড্রাগন ক্লাবে খেলার প্রস্তাব দিয়ে রেখেছেন মিশেল কিনান। আন্তর্জাতিক হকি ফেডারেশনের বিশেষজ্ঞ কোচ হিসেবে এই বেলজিয়ান সপ্তাহ খানেক ঢাকায় কাজ করে গেছেন বেশ কিছুদিন আগে। তবে ওমানের আল-সিব ক্লাবের মালিকের সঙ্গে একটু বেশি জানাশোনা থাকায় ওমানের প্রস্তাবটাই বেছে নিচ্ছেন জিমি, ‘অনেক দিন ধরেই ওমান লিগের চ্যাম্পিয়ন দল আল-সিবের মালিক নাদির আল নাসিরের অনুরোধ করছেন তাঁর ক্লাবে খেলতে। এবার আর এড়াতে পারলাম না। ১০ সেপ্টেম্বরের পর শুরু ওমানের ঘরোয়া টুর্নামেন্ট চ্যাম্পিয়নস কাপে আল-সিবের হয়ে খেলতে এশিয়া কাপের পর পরই ওমান যাব। ওরা কয়েক দিনের মধ্যে ভিসা পাঠিয়ে দেবে।’ আল-সিব দুজন মিডফিল্ডার চাওয়ায় কামরুজ্জামান রানা ও শেখ নান্নুর নাম প্রস্তাব করেছেন জিমি। ভিডিও দেখে এই দুজনকে পছন্দ হলে হয়তো তাঁরাও ওমানের এই ক্লাবে খেলার সুযোগ পাবেন। জিমি জানিয়েছেন, গতবার তিন ম্যাচের জন্য প্রাইজমানিসহ আল-সিব তাঁকে সাড়ে তিন লাখ টাকা দিতে চেয়েছিল। শুধু ম্যাচ ফি ৫০ হাজার টাকা। এবার চূড়ান্ত কথা না হলেও ম্যাচ ফি বাড়বে বলেই ধারণা। ১৯৮২ সালে প্রতিষ্ঠিত ক্লাবটি স্থানীয় প্রধানমন্ত্রী কাপ হকিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ১১ বার। হকি ছাড়াও ক্লাবটি ফুটবল, বাস্কেটবল, হ্যান্ডবল ও টেবিল টেনিস খেলে।
7,540
-1
sports
খেলা
২৮ নভেম্বর ২০১৫, ০২:৩০
২৮ নভেম্বর ২০১৫, ০২:৩২
খেলা,আন্তর্জাতিক ক্রিকেট
0
নয় বছর পর প্রোটিয়ারা...
http://www.prothom-alo.com/sports/article/696790
হাশিম আমলা খুব হতাশ। তিন দিনের মধ্যে টেস্ট হেরে সিরিজ খোয়ালে যেকোনো অধিনায়কেরই হতাশ হওয়ার কথা। উল্টো দিকে বিরাট কোহলি খুব খুশি। টেস্ট র্যা ঙ্কিংয়ের এক নম্বর দলের বিপক্ষে সিরিজ জয় নিশ্চিত হলে খুশিই হওয়ার কথা।ম্যাচ নিয়ে অনুভূতি বিপরীতধর্মী, তবে একটি বিষয়ে পুরোপুরিই একমত আমলা-কোহলি। বিষয় নাগপুরের উইকেট। অমর কারলেকারের পরিচর্যায় বিদর্ভ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামের উইকেট যে ব্যাটসম্যানদের জন্য বধ্যভূমি ছিল তা নিয়ে কারও দ্বিমত নেই।ব্যাটসম্যানদের এই বধ্যভূমিতেই শেষ হলো দক্ষিণ আফ্রিকার দেশের বাইরের অজেয় ধারা। নয় বছর দেশের বাইরে টানা ১৫টি সিরিজে অপরাজিত থাকা প্রোটিয়ারা সিরিজ খোয়াল মাত্র সাত দিনেই। মোহালির প্রথম টেস্টে তিন দিনের মধ্যে হার, বেঙ্গালুরুতে খেলা হলো মাত্র এক দিন, পরে নাগপুরে তিন দিনে শেষ টেস্ট।দিনের হিসাবে সিরিজে গতকালই সবচেয়ে ভালো গেছে দক্ষিণ আফ্রিকার। মন্থর থেকে আরও মন্থর হয়ে পড়া উইকেটের সুবিধা নিয়ে ভালোই প্রতিরোধ গড়েছিলেন আমলা ও ডু প্লেসিরা। উইকেট এতটাই মন্থর ছিল যে স্লিপে ক্যাচ তুলেও বেঁচে গেছেন এই দুজন। দোষটা ফিল্ডারদের নয়, বল তো তাঁদের কাছেই যায়নি। পঞ্চম উইকেটে ৪৬.২ ওভার ব্যাটিং করে ৭২ রান যোগ করেছেন দুজন—সিরিজে প্রোটিয়াদের সবচেয়ে লম্বা জুটি। এঁদের প্রতিরোধের মুখেই সিরিজে প্রথমবারের মতো দ্বিতীয় নতুন বল নিতে হয়েছে ভারতকে।কিন্তু ১১ বলের মধ্যে ৫ রানের ব্যবধানে আমলা-ডু প্লেসির বিদায়ের পর আর ৫০ রান যোগ হতেই অলআউট দক্ষিণ আফ্রিকা। লেগ স্পিনার অমিত মিশ্রর শিকার হওয়ার আগে দুজনই করেছেন ঠিক ৩৯ রান। তাই প্রথম ইনিংসের ৪০ রান নিয়েই ম্যাচের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংসের মালিক ভারতের ওপেনার মুরালি বিজয়।প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও দক্ষিণ আফ্রিকার সবগুলো উইকেট নিয়েছেন ভারতীয় স্পিনাররাই। প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট নেওয়া রবিচন্দ্রন অশ্বিন এবার ৬৬ রানে নিয়েছেন ৭ উইকেট। বাকি ৩ উইকেট মিশ্রর। টেস্ট ক্যারিয়ারে অশ্বিনের এটাই সেরা বোলিং।ম্যাচ শেষে অশ্বিনের প্রশংসায় পঞ্চমুখ অধিনায়ক কোহলি তাঁকে দিলেন বিশ্বসেরা স্পিনারের স্বীকৃতি, ‘অশ্বিন বিশ্বমানের স্পিনার। সে আমাদের অনেকটাই এগিয়ে দিয়েছে। এ মুহূর্তে সম্ভবত সে-ই বিশ্বের সেরা।’ সর্বশেষ ৭ টেস্টে ৫০ উইকেট নেওয়া বোলার এমন স্বীকৃতি পেতেই পারেন।আগামী ৩ ডিসেম্বর দিল্লিতে শুরু হবে সিরিজের শেষ টেস্ট। এএফপি, ক্রিকইনফো।
178,483
নিজস্ব প্রতিবেদক
bangladesh
বাংলাদেশ
১২ আগস্ট ২০১৭, ১৬:০০
১২ আগস্ট ২০১৭, ১৬:৩৫
-1
null
অপহরণের ঘটনা একটিতে শেষ হলে সবাই মুখ খুলত: রিজওয়ানা হাসান
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1286331
যদি অপহরণের ঘটনা একটিতে শেষ হতো, তাহলে অপহরণের শিকার ব্যক্তি ও তাঁদের স্বজনেরা মুখ খুলতেন।আজ শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।‘আইনের শাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকা’ শিরোনামে ওই আলোচনা সভাটির আয়োজক ছিল মৌলিক অধিকার সুরক্ষা কমিটি। কমিটির অন্যতম সদস্য এবং আইন ও সালিস কেন্দ্রের সাবেক নির্বাহী পরিচালক নূর খান লিটন বলেন, ‘স্বজ্ঞানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিবর্তে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলা হয়েছে। কারণ বাহিনীর সঙ্গে রক্ষাকারী শব্দটা আর যায় না।’সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের স্বামী আবু বকর সিদ্দিককে অজ্ঞাতপরিচয় লোকজন অপহরণ করে তিন বছর আগে। অপহরণের পরপরই থানায় মামলা করলেও কারা এর পেছনে ছিল, সে সম্পর্কে তদন্তে কিছু জানা যায়নি।রিজওয়ানা হাসান আজ বলেন, ‘টেলিভিশন টক শোতে দেখলাম খুব কথা। যাঁরা অপহৃত হয়ে যাচ্ছেন, তাঁরা আর কথা বলেন না। এটা বুঝবার বুদ্ধি নেই আপনাদের? কথা কেমন করে বলবে? যদি একটা অপহরণের ঘটনাই হতো শেষ অপহরণের ঘটনা, তাহলে অবশ্যই যাঁরা অপহৃত হয়েছেন, তাঁরা এবং তাঁদের পরিবার কথা বলতেন। একটা অপহরণের ঘটনা সারতে না সারতেই যদি দেখেন সাতজন অপহরণ হয়েছেন, তা–ও আবার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দিয়ে এবং এমন পর্যায় থেকে যাকে আপনি ফেলে দিতে পারবেন না।...এটা তো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কালচারের ভেতরে ঢুকে গেছে।’বাংলাদেশের মানুষ একটা ‌‘বিপদে পড়ার কালচারের’ মধ্যে ঢুকে গেছে বলেও মন্তব্য করেন সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি বলেন, মানুষ এখন প্রতিবাদ করতে গেলে পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়, প্রতিবাদ করতে গিয়ে বিপদে পোড়ো না। জনগণের অনাস্থা, অবিশ্বাসের জায়গাগুলো শনাক্ত করে, আস্থা ও বিশ্বাস ফিরিয়ে আনতে হবে বলে মনে করেন তিনি।বেলার নির্বাহী প্রধান বলেন, ‌‘যেসব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি আস্থাহীনতা চরম, অবিশ্বাস চরম, সেখান থেকে মুক্তি পেতে হলে, কোনো আইন বাতিল করতে হলে আমাদের বাতিল করতে হবে। যদি বিডিআরের নাম বদলে যেতে পারে, যে সে মূল্যবোধ নিয়ে ব্যাজ পরতে পারছে না, তাহলে র‍্যাবের ব্যাপারেও আসলে আমাদের চিন্তা করতে হবে।’সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের মতে, নাগরিকেরা হারিয়ে গেলে নির্বাচনে জেতা যাবে না। তিনি আরও বলেন, ‘‌জাতীয় পরিচয়পত্রধারী নাগরিকেরা হারিয়ে যায়। কেউ বলতে পারে না। পুলিশ, র‍্যাব, সেনাবাহিনী বলতে পারবে না, এটা তো দিনের পর দিন হতে পারে না। এটা কোনো কথা? ন্যূনতম জবাবদিহিটুকু থাকবে না? তারা সমানে গ্রেপ্তার করতে পারে, জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে, অ্যারেস্ট করতে পারে, কেউ তো বাধা দিচ্ছে না, কিন্তু আমরা হারিয়ে যাব কেন? তাহলে এই পরিচয়পত্র দিয়ে আমাদের লাভটা কী হলো? এটা আমাদের সুরক্ষাকবচ। আর নাগরিকেরা হারিয়ে গেলে কি হবে, আগামী নির্বাচনে জেতা যাবে? কোনোভাবেই সম্ভব নয়। বরং নাগরিকেরা যদি থাকতে পারে, তাহলেই আগামী নির্বাচনে জেতা সম্ভব।’আলোচনা সভায় আজ সাতক্ষীরার জেসমিন নাহার নামে এক নারী উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, তাঁর স্বামীর তিন দিন হাজতে অবস্থানের সুস্পষ্ট প্রমাণ আছে। জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিমের প্রতিবেদনে বিষয়টি পরিষ্কার হওয়ার পরও পুলিশ অভিযোগ অস্বীকার করছে। তাঁকে ‌‘জঙ্গি’ বলে প্রচার করছে।আলোচনা সভার সমন্বয়ক সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, আইনে অপহরণের ব্যাপারে বিধান আছে যখন কোনো ব্যক্তি কোনো ব্যক্তিকে অপহরণ করে নিয়ে যায়, তখন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠছে, তারা কোনো আইনি প্রক্রিয়া ছাড়াই গ্রেপ্তার করছে। সে কারণে গ্রেপ্তারের পরিবর্তে তুলে নিয়ে যাওয়া, উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ার মতো বেআইনি শব্দগুলো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিরুদ্ধে ব্যবহার হচ্ছে। যেহেতু আইনি প্রক্রিয়া না মেনে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, তার বিরুদ্ধে কোনো আইনগত প্রতিকার আসলে নেই বলে মন্তব্য করেন জ্যোতির্ময় বড়ুয়া।
332,241
রাঙামাটি অফিস
bangladesh
বাংলাদেশ
১৯ মার্চ ২০১৫, ০২:২৬
১৯ মার্চ ২০১৫, ০২:২৮
রাঙামাটি,চট্টগ্রাম বিভাগ
0
জনগণের কাছাকাছি থাকবে সেনাবাহিনী
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/481012
মতপার্থক্য দূর করে সেনাবাহিনী জনগণের কাছাকাছি থাকবে—এমন আকাঙ্ক্ষার কথা জানিয়ে জনসংহতি সমিতির সভাপতি জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় (সন্তু) লারমা বলেছেন, ‘পরস্পরের সমস্যা, আশা-আকাঙ্ক্ষা আমাদের বুঝতে হবে। আশা করি, ওনারাও (সেনাবাহিনী) তা-ই চান।’গতকাল বুধবার রাঙামাটিতে সেনাবাহিনী আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সন্তু লারমা। অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, একটা সময় সবাই মনে করত, জনগণের সঙ্গে সেনাবাহিনীর থাকা ঠিক নয়। কিন্তু এখন সেই ধারণার পরিবর্তন ঘটেছে। সেনাবাহিনী নানাভাবে দেশ ও সাধারণ মানুষের কল্যাণে কাজ করছে।কম্পিউটার ও সেলাই প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত তরুণ-তরুণীদের মধ্যে সনদ বিতরণের জন্য রাঙামাটি সেনা রিজিয়নের প্রান্তিক অডিটোরিয়ামে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন সেনাবাহিনীর রাঙামাটি রিজিয়নের অধিনায়ক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রিদওয়ান-আল-মাহমুদ। সভাপতিত্ব করেন রাঙামাটি জোনের অধিনায়ক লে. কর্নেল মালিক সামশুদ্দিন মো. মঈন। উপস্থিত ছিলেন রাঙামাটির ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মো. মোস্তফা জামান।পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান সন্তু লারমা বলেন, ‘সেনাবাহিনী নিয়মিত কার্যক্রমের পাশাপাশি জনকল্যাণে অবদান রেখে চলেছে। সারা বিশ্বে এখন এটাই চলছে। এমন কার্যক্রম শুধু আমার কাছে নয়, সব নেতা ও শিক্ষিত সমাজের কাছে গ্রহণযোগ্য।’সেনাবাহিনী আেয়াজিত কোনো অনুষ্ঠানে এটিই সন্তু লারমার প্রথম বক্তৃতা বলে তাঁর ব্যক্তিগত সহকারী বরুণ চাকমা জানিয়েছেন।রিদওয়ান-আল-মাহমুদ বলেন, সেনাবাহিনী দীর্ঘদিন ধরে মানবসম্পদ উন্নয়নকাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত রয়েছে। সামাজিক দায়বদ্ধতা ও দেশের উন্নয়নে জনগণকে নানা প্রশিক্ষণ দিয়ে যাচ্ছেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা।মালিক সামশুদ্দিন মো. মঈন জানান, সেনাবাহিনী পরিচালিত ডটকম কম্পিউটার সেন্টার ২০১২ সাল থেকে স্থানীয় তরুণ-তরুণীদের কম্পিউটার প্রশিক্ষণ দিয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া তরুণীদের সেলাই প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনীর রাঙামাটি জোন ও কাউখালীর দুটি কেন্দ্রে ১৬৮ জন কম্পিউটার ও ৪০ জন সেলাই প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত তরুণ-তরুণীকে সনদ দেওয়া হয়েছে।
124,224
প্রতিনিধি, হ্যানোভার, জার্মানি
international
আন্তর্জাতিক
২৬ জুন ২০১৯, ০০:৫৬
২৭ জুন ২০১৯, ১৩:১৩
ইউরোপ,জার্মানি,তাপমাত্রা,আবহাওয়া
null
জার্মানিতে তাপমাত্রা রেকর্ড ছাড়াবে!
http://www.prothom-alo.com/international/article/1601146
২১ জুন ইউরোপে গ্রীষ্মকাল শুরুর পর থেকেই তাপমাত্রা বেড়েই চলেছে। এই গরমে জার্মানির জনজীবন ওষ্ঠাগত প্রায়। সপ্তাহ শেষে এ তাপমাত্রা আরও বাড়বে বলে জানিয়েছে জার্মানির আবহাওয়া দপ্তর।৭২ বছর আগে ১৯৪৭ সালে জার্মানির কিছু অঞ্চলের তাপমাত্রা হয়েছিল ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে, এবার সেই তাপমাত্রা আরও বেড়ে বুধবার ফ্রাঙ্কফূর্ট অঞ্চলে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস হবে।সোমবার থেকেই এই উচ্চ তাপমাত্রা শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার তাপমাত্রা ছিল ৩৪ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। জার্মানির অধিকাংশ বসতবাড়িতে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থা না থাকায় সবাই ফ্যান কেনার জন্য ছুটছেন।জার্মানিতে এমন উচ্চ তাপমাত্রার কারণে সোমবার এবং মঙ্গলবার দুপুরের আগেই বিদ্যালয়গুলো ছুটি দেওয়া হয়। খুব প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া মানুষজন রাস্তায় বের হচ্ছেন না। পত্র পত্রিকায়, রেডিও টেলিভিশনে সবাইকে বেশি করে পানি পান করার উপদেশ দেওয়া হচ্ছে। জার্মানির প্রকৃতিবিষয়ক সংগঠনগুলি প্রচণ্ড গরমের কারণে পশু-পাখিদের তৃষ্ণা মেটাতে নাগরিকদের বারান্দা এবং বাগানে পানির পাত্র রাখার অনুরোধ জানিয়েছেন। জার্মানি জুড়ে বিভিন্ন হ্রদ, নদীর তীরে ও সাঁতার কাটার জায়গাগুলোতে বিকেলের পর লোকদের ভিড় জমেছে।জার্মানির বিভিন্ন হাসপাতালে প্রচণ্ড গরমে শারীরিকভাবে দুর্বল ব্যক্তিরা চিকিৎসা নেওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তীব্র দাবদাহে বনাঞ্চলে আগুন লাগছে কিনা তা পর্যবেক্ষণ করতে জার্মানির অগ্নিনির্বাপক উড়োজাহাজগুলি আকাশে টহল দিচ্ছে।
407,632
খুলনা অফিস
bangladesh
বাংলাদেশ
২৯ নভেম্বর ২০১৬, ০০:৫৮
২৯ নভেম্বর ২০১৬, ০০:৫৯
খুলনা,মহানগর
0
রোহিঙ্গা নির্যাতনের প্রতিবাদে...
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1030001
রোহিঙ্গাদের নিপীড়ন করতে গিয়ে মানবতাবিরোধী যত অপরাধ, এর সবই মিয়ানমার করছে। মিয়ানমার স্বীকার করুক বা না করুক, রোহিঙ্গারা ঐতিহাসিকভাবে সে দেশের নাগরিক। দমন-নিপীড়নের কারণে প্রাণ বাঁচানোর তাগিদে শত শত রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছে। মিয়ানমার এ বিষয়টি অস্বীকার করছে।মিয়ানমারে নির্বিচারে মানুষ হত্যা ও নির্যাতনের প্রতিবাদে গতকাল খুলনা শহরের পিকচার প্যালেস মোড়ে আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তারা এসব কথা বলেন। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন জন-উদ্যোগ, এই মানববন্ধনের আয়োজক।বক্তারা বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যা মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ বিষয়। কিন্তু তাই বলে তাদের ওপর নির্যাতন-নিপীড়ন মানা যায় না। এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় মুখ ফিরিয়ে থাকতে পারে না। বিশেষ করে জাতিসংঘকে রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে আরও সোচ্চার ভূমিকা রাখতে হবে।
269,731
বিশেষ প্রতিনিধি
education
শিক্ষা
৩০ মে ২০১৫, ২০:২৩
৩০ মে ২০১৫, ২০:৩৯
-1
null
সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থীদের তাক লাগানো সাফল্য
http://www.prothom-alo.com/education/article/541486
কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের এসএসসি ভকেশনাল পরীক্ষার ফলাফলে তাক লাগিয়ে দিয়েছে দুস্থ ও সুবিধাবঞ্চিত পরিবারের সন্তানেরা। ইউসেপ পরিচালিত পাঁচটি স্কুলই ওই বোর্ডে প্রথম থেকে পঞ্চম পর্যন্ত পাঁচটি স্থান অধিকার করেছে। ইউসেপের এসব স্কুল থেকে ৩১০ জন শিক্ষার্থী এসএসসি ভকেশনাল পরীক্ষায় অংশ নেয়, তাদের ৩০৬ জনই জিপিএ-৫ পেয়েছে।কারিগরি শিক্ষাবোর্ডে গত বছর পাস করেছিল ৮১ দশমিক ৯৭ শতাংশ শিক্ষার্থী, এবার তা ৮৩ দশমিক ১ শতাংশ। জিপিএ ৫ পেয়েছে ওই বোর্ডের ৬ হাজার ৯৩২ জন ছাত্রছাত্রী। গত বছর ওই সংখ্যা ছিল ৫ হাজার ৯৫০ জন। পরীক্ষায় অংশ নেয় ১ লাখ ১০ হাজার ২৮৯ জন শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ৯১ হাজার ৪৫৭ জন।কারিগরি বোর্ডের সেরা ২০ কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে ইউসেপ পরিচালিত প্রতিষ্ঠানগুলো ঈর্ষণীয় ফল করেছে। রাজশাহীর পবায় অবস্থিত ইউসেপ-রাজশাহী কারিগরি স্কুল সেরা তালিকায় শীর্ষে স্থান পেয়েছে। সেখানে ৬০ জন শিক্ষার্থীর সবাই পাস করেছে, জিপিএ ৫ পেয়েছে ৫৯ জন। সেরা তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে আছে মিরপুরে অবস্থিত ইউসেপ-ঢাকা কারিগরি স্কুল, সেখানে ৭৩ জনের সবাই পাস করেছে এবং সবাই জিপিএ ৫ পেয়েছে।খুলনার খালিশপুরে অবস্থিত ইউসেপ-মোহসীন কারিগরি স্কুল তৃতীয় অবস্থানে, ৬০ জনের সবাই পাস, জিপিএ ৫ পেয়েছে ৫৮ পরীক্ষার্থী। তালিকায় চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে রয়েছে যথাক্রমে চট্টগ্রামের এ কে খান ইউসেপ কারিগরি স্কুল ও সিলেটের ইউসেপ-হাফিজ মজুমদার টেকনিক্যাল স্কুল।ইউসেপের নির্বাহী পরিচালক জাকি হাসান প্রথম আলোকে বলেন, দুস্থ ও সুবিধাবঞ্চিত পরিবারের এসব সন্তানদের ‘দ্বিগুণ অভিনন্দন’ জানানো উচিত দেশবাসীর পক্ষ থেকে। কারণ তারা পিছিয়ে পড়া পরিবারের এবং বিশেষ রাজনৈতিক পরিস্থিতির মধ্যে পরীক্ষা দিয়ে তারা এই সাফল্য অর্জন করেছে। এ ধরনের শিক্ষার্থীর জন্য আরও বিনিয়োগ এবং তাঁদের শিক্ষার ক্ষেত্র অনেক বেশি সম্প্রসারণ করা উচিত বলে মত দেন জাকি হাসান।বোর্ডের সেরা তালিকায় ষষ্ঠ স্থান অধিকার করেছে ডেমরার বাওয়ানি হাইস্কুল, সপ্তম স্থান অধিকার করেছে নারায়ণগঞ্জের কলাগাছিয়া ইউনিয়ন হাইস্কুল, অষ্টম স্থানে আছে টাঙ্গাইলের সুতি ভি এম পাইলট হাইস্কুল, নবম স্থানে আছে টাঙ্গাইলের ঘাটাইল গণ পাইলট হাইস্কুল এবং দশম স্থানে আছে ঢাকার সাভারে অবস্থিত সোসাইটি অব সোশ্যাল রিফর্ম হাইস্কুল।
143,083
অনলাইন ডেস্ক
technology
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
০১ অক্টোবর ২০১৪, ১৮:৫৭
০১ অক্টোবর ২০১৪, ১৮:৫৯
-1
0
ফ্রিজের খোঁজখবর এখন অনলাইনে
http://www.prothom-alo.com/technology/article/335179
ব্যবহৃত ও অব্যবহৃত বিভিন্ন পণ্যেরই অনলাইনে কেনা-বেচা বাড়ছে। অনলাইনে বিজ্ঞাপন দিয়ে তা যেমন বিক্রি করা যাচ্ছে, তেমনি অনলাইন থেকে প্রয়োজনীয় জিনিস দরদাম দেখে কেনাও যাচ্ছে। এমনই একটি পণ্য হচ্ছে রেফ্রিজারেটর।ঈদের সময় অনলাইন প্লাটফর্মে নতুন ও পুরোনো রেফ্রিজারেটরের কেনা-বেচা বাড়ছে বলেই জানিয়েছেন এখানেই ডটকমের প্রধান নির্বাহী আরিল ক্লোকারহৌগ।আরিল জানিয়েছেন, ‘ক্রেতারা ঘরে বসেই এখন নতুন বা পুরনো রেফ্রিজারেটরের খোঁজখবর পেয়ে যাচ্ছেন। যাঁরা নতুন কিনছেন, তাঁরা আবার বাড়িতে থাকা পুরোনো রেফ্রিজারেটরটি বিক্রির জন্য অনলাইনে বিজ্ঞাপন দিচ্ছেন। আগে শুধু ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি অনলাইনে বিক্রি হতো বেশি। এখন ইলেকট্রনিক পণ্য থেকে শুরু করে অন্যান্য পণ্য, আসবাব, ফ্ল্যাট, গাড়ি এমনকি ফ্রিজও বিক্রি হচ্ছে।’অনলাইনে ফ্রিজ কেনা-বেচার সুবিধা কী? আরিল জানিয়েছেন, ‘নতুন ব্র্যান্ডের রেফ্রিজারেটরের পাশাপাশি ব্যবহৃত ফ্রিজগুলো তুলনামূলক কম দামে পাওয়া যায়। এখানেই ডটকমে গিয়ে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের রেফ্রিজারেটরের দাম জেনে নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। সর্বনিম্ন ১২ হাজার থেকে ৪০ হাজার টাকার মধ্যে রেফ্রিজারেটর পাওয়া যায়।’পণ্য কীভাবে কিনতে হবে? আরিল বলেন, ‘বিজ্ঞাপনে দামের পাশাপাশি পণ্যের তথ্য দেওয়া থাকে। নতুন হলে লেখাই থাকে, পণ্যটি একেবারে নতুন। আর পুরোনো হলে বিক্রেতা ব্যবহৃত পণ্যের সময় বলে দেন। বিজ্ঞাপনদাতার যোগাযোগের ঠিকানাও দেওয়া থাকে সেখানে। ফলে ক্রেতা খুব সহজেই বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলে রেফ্রিজারেটর কিনে নিতে পারেন। আবার কেউ যদি পুরোনো রেফ্রিজারেটর বিক্রি করতে চান তবে এলাকা নির্ধারণ করে বিজ্ঞাপন দিতে পারেন।’প্রতারণা হলে? এমন প্রশ্নে আরিল বলেন, ‘প্রয়োজনীয় বা অপ্রয়োজনীয় যেকোনো পণ্যই বিক্রির বিজ্ঞাপন অনলাইনে দেওয়া যাবে। তবে কেউ অসৎ উদ্দেশ্যে বিজ্ঞাপন দিলে আইন অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। পণ্য কেনার সময় রসিদসহ অন্যান্য কাগজ বুঝে নিতে হবে।’
97,819
মো. আরিফুজ্জামান, ঢাকা
bangladesh
বাংলাদেশ
২০ মার্চ ২০১৯, ১০:৫৮
২০ মার্চ ২০১৯, ১২:৪৫
সরকার,বরিশাল বিভাগ,পটুয়াখালী,বিদ্যুৎকেন্দ্র,গোপালগঞ্জ
null
বিদ্যুৎ–সংকটে পায়রা কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1584342
পটুয়াখালীর পায়রায় কয়লাভিত্তিক ১৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিটের নির্মাণকাজ শেষ হলেও বিদ্যুতের অভাবে তা পরীক্ষা করা যাচ্ছে না। পটুয়াখালী-পায়রা ৪৭ কিলোমিটার সঞ্চালন লাইন নির্মাণকাজ শেষ না হওয়ায় বিদ্যুৎ আনা যাচ্ছে না।চলতি মার্চ মাসে বিদ্যুৎকেন্দ্রটির পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। আর আগামী ২৪ আগস্ট থেকে এ কেন্দ্রের বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে পরীক্ষামূলক সঞ্চালনের কথা। এ কেন্দ্রের বিদ্যুৎ গোপালগঞ্জ পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার জন্য যে সঞ্চালন লাইন নির্মাণ করা হচ্ছে, তাও সময়মতো শেষ হচ্ছে না। ফলে কেন্দ্রের প্রথম ইউনিটটি নির্মিত হলেও উৎপাদনে আসা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী, এতে সরকার অন্তত ৮০০ কোটি টাকা ক্ষতির মুখে পড়তে পারে।পায়রায় ১৩২০ মেগাওয়াটের দুটি ইউনিট থেকে মোট বিদ্যুৎ আসবে ২৬৪০ মেগাওয়াট। পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রে নিরবচ্ছিন্ন জরুরি বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য পটুয়াখালী-পায়রা ১৩২ কেভি (কিলো ভোল্ট) এবং পায়রা-গোপালগঞ্জ ৪০০ কেভির ১৪৭ কিলোমিটার সঞ্চালন লাইন স্থাপনের দায়িত্ব রাষ্ট্রীয় সংস্থা পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি)। এই লাইন স্থাপনের জন্য পায়রা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে পিজিসিবির চুক্তি হয় ২০১৬ সালে। তারা পটুয়াখালী-পায়রা সঞ্চালন লাইন নির্মাণের কাজটি দেয় দেশীয় প্রতিষ্ঠান কনফিডেন্স পাওয়ারকে।গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর পিজিসিবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুম-আল-বেরুনী বিসিপিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে লেখা এক চিঠিতে জানান, ২০১৯ সালের মার্চ মাসে এর মধ্যে ১৩২ কেভি সঞ্চালন লাইন নির্মাণের কাজ শেষ হবে।পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রকল্প পরিচালক শাহ আবদুল মওলা প্রথম আলোকে মুঠোফোনে বলেন, ‘আমাদের কেন্দ্রের যন্ত্রপাতিগুলো আলাদাভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা দরকার। কিন্তু বিদ্যুতের অভাবে সে কাজ থেমে আছে।’এ বিষয়ে কথা বলার জন্য মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও মাসুম-আল-বেরুনী ফোন ধরেননি। মুঠোফোনে খুদে বার্তা পাঠালে তিনি প্রধান প্রকৌশলী প্রণব কুমার রায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন। প্রণব কুমার রায় প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি দ্রুত সঞ্চালন লাইনটি নির্মাণকাজ শেষ করার জন্য।’বিদ্যুৎ বিভাগের দাবি, বর্তমান অবস্থায় বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণের পরও উৎপাদনে যেতে পারবে না। এতে ক্ষতি হবে অন্তত ১০০ মিলিয়ন ডলার বা ৮০০ কোটি টাকা। আবার বড় বিদ্যুৎকেন্দ্র উৎপাদনে এলে ছোট ছোট তেলভিত্তিক কেন্দ্র বন্ধ করার পরিকল্পনা আছে সরকারের। কারণ, এগুলোর উৎপাদন ব্যয় কয়লাভিত্তিক কেন্দ্রের আড়াই গুণের বেশি।সমান মালিকানায় পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রটি যৌথভাবে নির্মাণ করছে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান নর্থওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেড ও চীনা প্রতিষ্ঠান সিএমসি। এই দুটি প্রতিষ্ঠান মিলে কেন্দ্র পরিচালনার জন্য বাংলাদেশ চায়না পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড (বিসিপিসিএল) নামে পৃথক একটি কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেছে।
394,598
শিহাব জিশান
bangladesh
বাংলাদেশ
৩০ আগস্ট ২০১৫, ০২:১০
৩০ আগস্ট ২০১৫, ০২:১২
আমার চট্টগ্রাম
0
ভরতনাট্যমের ছন্দে মুগ্ধ দর্শক
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/616756
ভরতনাট্যমের নাচের ছন্দে মঞ্চ মাতালেন স্কুল অব ওরিয়েন্টাল ড্যান্সের শিল্পীরা। আসরের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ছিল উপভোগ্য। শিল্পীদের নাচের মুদ্রা ও অভিব্যক্তি যেন ক্ষণে ক্ষণে নাটকীয় মুহূর্ত তৈরি করেছে। ২৭ আগস্ট সন্ধ্যা সাতটায় থিয়েটার ইনস্টিটিউট চট্টগ্রাম মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এই আসরের নৃত্যনির্দেশনায় ছিলেন শিল্পী শুভ্রা সেনগুপ্তা। সন্ধ্যা সাতটায় মঙ্গলপ্রদীপ প্রজ্বালনের মাধ্যমে শুরু হয় আয়োজন। শুরুতে ভরতনাট্যম প্রসঙ্গে বলেন সুবীর দাশ ও জি এম আব্দুস সালাম। এরপর অনুষ্ঠানের উদ্বোধন ঘোষণা করেন চট্টগ্রামে ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার সোমনাথ হালদার। আসর শুরু হয় ‘আলারিপ্পু’ পর্যায়ের নাচের মাধ্যমে। ভরতনাট্যমে ভূমিকা হিসেবে পরিচিত এই পর্যায়ের নাচের মধ্য দিয়ে ওরিয়েন্টাল ড্যান্সের শিল্পীরা ফুলের পাপড়ির মতো নিজেদের মেলে ধরেন। শিল্পীরা তাঁদের গুরু ও স্রষ্টার আশীর্বাদ প্রার্থনা করেন। এরপর একে একে শিল্পীরা পরিবেশন করেন ‘শিব বন্দনা’ ও ‘যতিস্বরম’। এরপর ছিল শিল্পী শুভ্রা সেনগুপ্তার ‘বর্ণম’ নৃত্যের ছন্দময় পরিবেশনা। দক্ষিণ ভারতের সংগীতের নানা রাগে ও নানা কাহিনি অবলম্বনে রচিত ‘বর্ণম’ ভরতনাট্যমের সবচেয়ে জটিল ও দুরূহ পর্যায়ের নাচ। সেই দুরূহ কাজটি সাবলীলভাবে করলেন শুভ্রা। নৃত্যাভিনয়ের মাধ্যমে দর্শকের হৃদয় যেন রাঙিয়ে তুললেন তিনি। তাঁর নাচের মুদ্রা বিন্যাস ও পায়ের কাজের সমন্বয় মুগ্ধ করেছে দর্শকদের। আয়োজনে ভিন্ন মাত্রা যোগ করে যন্ত্রসংগীতের সঙ্গে ভরতনাট্যম পরিবেশনা। প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্রের ছন্দে দলগত নাচ ছিল উপভোগ্য। এরপর ছিল ‘তিল্লানা’ পর্যায়ের নাচের পরিবেশনা। সবশেষে ‘মঙ্গলম’ পরিবেশনার মাধ্যমে দর্শকদের উদ্দেশে অর্ঘ্য নিবেদন করেন স্কুল অব ওরিয়েন্টাল ড্যান্সের শিল্পীরা। এর মাধ্যমে শেষ হয় আসরের। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন আবৃত্তিশিল্পী ফারুক তাহের।
164,310
জুড়ী (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
১০ জানুয়ারি ২০১৭, ০০:৫৪
১০ জানুয়ারি ২০১৭, ০০:৫৫
জুড়ী,মৌলভীবাজার,সিলেট বিভাগ,বিশাল বাংলা,অপরাধ
0
ছাত্রলীগ কর্মীর হামলায় জাসদ ছাত্রলীগের দুই নেতা আহত
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1056291
মৌলভীবাজারের কুলাউড়া ডিগ্রি কলেজে ছাত্রলীগের এক কর্মীর বিরুদ্ধে জাসদ ছাত্রলীগের দুই নেতাকে কুপিয়ে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। দেয়ালে সাঁটানো সংগঠনের পোস্টার ছেঁড়ার ঘটনায় গতকাল সোমবার এ হামলার ঘটনা ঘটে।পুলিশ, দলীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী লোকজন সূত্রে জানা গেছে, সংগঠনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কলেজের বাইরের দেয়ালে জাসদ ছাত্রলীগ পোস্টার লাগিয়েছিল। গতকাল দুপুর পৌনে ১২টার দিকে কলেজ ছাত্রলীগের কর্মী মিজানুর রহমান ৮-১০টি পোস্টার ছিঁড়ে ফেলেন। এ সময় জাসদ ছাত্রলীগের কলেজ কমিটির সহসভাপতি নাদের আলম বাধা দিলে মিজানুর ব্যাগ থেকে চাপাতি বের করে তাঁকে কোপ দেন। কোপটি নাদেরের ঘাড়ের ডান পাশে লাগে। চিৎকার শুনে একই সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাহাত সারোয়ার সেখানে ছুটে গেলে মিজানুর তাঁকেও ডান হাতের কবজিতে চাপাতি দিয়ে কোপ দেন। কলেজের শিক্ষকদের কাছ থেকে খবর পেয়ে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ধাওয়া করে মিজানুরকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। আহত নাদের ও রাহাত কুলাউড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
281,972
বান্দরবান প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
১৪ মে ২০১৪, ০১:৪০
১৪ মে ২০১৪, ০১:৪৬
বান্দরবান,চট্টগ্রাম বিভাগ,বিশাল বাংলা
0
নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের ওপারে গোলাগুলি, বিজিবি সতর্ক
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/215764
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের ওপারে (মিয়ানমারের ভূখণ্ডে) গতকাল মঙ্গলবার মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিপি) সঙ্গে একটি বিদ্রোহী সংগঠনের গোলাগুলির খবর পাওয়া গেছে৷ এ অবস্থায় অনুপ্রবেশ ঠেকাতে নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে টহল ও জনবল বৃদ্ধি করে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিবি)৷নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুনধুম ইউনিয়নের বাইশফাঁড়ি এলাকার লোকজন জানিয়েছেন, গতকাল সকাল সাড়ে ছয়টা থেকে ৩৮ নম্বর সীমান্ত পিলারের ১৫০-২০০ মিটার মিয়ানমারের অভ্যন্তরে গোলাগুলি শুরু হয়। পরে ৩৯ নম্বর পিলার এলাকায়ও গোলাগুলির শব্দ পাওয়া যায়৷ সীমান্ত সূত্রগুলো জানিয়েছে, রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গনাইজেশন (আরএসও) নামে মিয়ানমারের একটি বিদ্রোহী সংগঠন বিজিপির টহলের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি চলে। ৩৮ নম্বর পিলার এলাকার লোকজন বলেছেন, গোলাগুলি থেমে থেমে বিকেল পর্যন্ত চলেছে। তবে গোলাগুলিতে কোনো পক্ষের কোনো হতাহত হয়েছে কি না, তা জানা যায়নি।বিজিবির কক্সবাজার ১৭ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল খন্দকার সাইফুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গোলাগুলির পর মিয়ানমারের ওই এলাকার বিজিপির ব্যাটালিয়ন অধিনায়কের সঙ্গে তাঁদের সার্বক্ষণিক যোগাযোগ হচ্ছে। বিজিবির ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক তাঁকে জানিয়েছেন, কোনো সশস্ত্র দল বা ডাকাত দলের সঙ্গে তাঁদের বন্দুকযুদ্ধ হয়েছে। ওই সন্ত্রাসী দলের কেউ যাতে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করতে না পারে, এ ব্যাপারে তিনি বিজিবির সহযোগিতা চেয়েছেন।বিজিবির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গোলাগুলির ঘটনার পর বিজিবির সেক্টর অধিনায়ক সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। অনুপ্রবেশ হতে পারে এমন জায়গাগুলোতে বিজিবির জনবল বাড়িয়ে টহল জোরদার করা হয়েছে৷
73,154
নিজস্ব প্রতিবেদক, কক্সবাজার
bangladesh
বাংলাদেশ
২৫ এপ্রিল ২০১৭, ০১:২৪
২৫ এপ্রিল ২০১৭, ০১:২৪
কক্সবাজার
0
ম্যালেরিয়ায় ঝুঁকিমুক্ত হচ্ছে কক্সবাজার
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1156691
চার বছর আগেও ম্যালেরিয়ার জন্য মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা ছিল কক্সবাজার। কিন্তু সরকারের নানামুখী উদ্যোগ ও বেসরকারি সংস্থাগুলোর প্রচেষ্টায় ধীরে ধীরে সে অবস্থার অনেকটাই পরিবর্তন হয়েছে। ম্যালেরিয়া নিয়ে মানুষের মধ্যে আগের চেয়ে সচেতনতা অনেক বেড়েছে। ম্যালেরিয়া রোগজনিত জেলায় মানুষের মৃত্যুর সংখ্যা শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছে। জেলা সিভিল সার্জন এবং বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল কর্মকর্তা (রোগনিয়ন্ত্রণ) রনজন বড়ুয়া বলেন, ২০১৬ সালে জেলায় ১ হাজার ৩০১ জন ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়। চিকিৎসা নিয়ে সবাই ভালো আছে। ২০০৫ সালে জেলায় ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ১৮৮ জন। ২০০৬ সালে মারা যায় ৩৪ জন, ২০০৭ সালে ২৫ জন, ২০০৮ সালে ৬০ জন, ২০০৯ সালে ৪ জন, ২০১০ সালে ১ জন, ২০১১ সালে ২ জন এবং ২০১২ সালে ১ জন মারা গেছেন। ২০১৩ সালে একজনও মারা যায়নি।২০১৭ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ম্যালেরিয়া আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে ১২১ জন। ম্যালেরিয়া নিয়ে স্বাস্থ্যকর্মীরা দুর্গম পাহাড়ি ও সমুদ্র উপকূলীয় এলাকায় ব্যাপকভাবে কাজ করায় এখন রোগীর সংখ্যা কমে আসছে বলে সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র জানায়। জেলার মধ্যে রামু ও চকরিয়া উপজেলা ম্যালেরিয়ার প্রকোপ বেশি।রামুর গর্জনিয়া ইউনিয়ন (ইউপি) চেয়ারম্যান সৈয়দ নজরুল ইসলাম বলেন, সচেতনতা বাড়ায় তিন বছর ধরে তাঁর ইউনিয়নে ম্যালেরিয়া আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা যায়নি।চিকিৎসকেরা জানান, কক্সবাজারে ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণে প্রতিরোধ ও নিরাময় কার্যক্রম চালু রয়েছে। প্রতিরোধ কর্মসূচির আওতায় ম্যালেরিয়া প্রকোপ এলাকায় মশারি বিতরণ, পল্লিচিকিৎসকদের ম্যালেরিয়া রোগ নির্ণয় বিষয়ে প্রশিক্ষণ, জনগণের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টিসহ নানা কাজ চলছে। গত জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত জেলায় ৩ লাখ ৮০ হাজার ৫২১টি কীটনাশকযুক্ত মশারি বিতরণ করা হয়েছে। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাকের হয়ে মশারিগুলো বিতরণ করছে ‘মুক্তি কক্সবাজার’সহ কয়েকটি এনজিও।কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র (ভারপ্রাপ্ত) মাহবুবুর রহমান চৌধুরী বলেন, পর্যটনের এই শহরকে মশামুক্ত রাখতে নানা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে পৌর কর্তৃপক্ষ।
313,573
গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫, ০১:৫৪
২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫, ০১:৫৭
গলাচিপা,পটুয়াখালী,বরিশাল বিভাগ,বিশাল বাংলা
0
সংস্কারহীন ১৪ বছর, ঘর ছাড়ছেন বাসিন্দারা
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/639313
নির্মাণের পর ১৪ বছরেও কোনো সংস্কার না করায় পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার চালিতাবুনিয়া ইউনিয়নের চরলতা আশ্রয়ণ প্রকল্পের নয়টি ব্যারাকের ৯০টি ঘরই ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ইতিমধ্যে সেখানকার ৪০টি পরিবার ঘর ছেড়ে অন্য জায়গায় আশ্রয় নিয়েছে। কোনো উপায় না থাকায় বাকি পরিবারগুলো ভাঙা ঘরে কোনো রকমে টিকে আছে।রাঙ্গাবালী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার (পিআইও) কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০০০-০১ অর্থবছরে চরলতায় নয়টি ব্যারাকে ৯০টি ঘরের এই আশ্রয়ণ প্রকল্পটি নির্মাণ করা হয়। নদীভাঙনসহ বিভিন্ন দুর্যোগে সর্বস্বহারা ৯০টি পরিবারকে সেখানে পুনর্বাসন করা হয়।সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা গেছে, আশ্রয়ণ প্রকল্পের প্রতিটি ঘরের টিনের চাল ভাঙাচোরা, লোহার অ্যাঙ্গেলগুলো মরিচা ধরে নষ্ট হয়ে গেছে। ভেঙে পড়েছে সিমেন্টের তৈরি খুঁটিগুলো। বেশির ভাগ ঘরের বেড়াই ভাঙাচোরা।আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা আবু সায়েম (৩৮) বলেন, ‘এইখানে ৯০টি ফেমিলি (পরিবার) থাকত। সিডর, আইলাসহ কয়েকটি বানে (ঘূর্ণিঝড়) ব্যারাকের ঘরগুলা ভাইঙ্গা যায়। ঘরগুলা মেরামত না করায় তাতে বসবাস করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই এখান থেকে ৪০টি ফেমিলি ওয়াপদার রাস্তায় (বন্যানিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধ) যাইয়া ঘর বানাইছে। কোনো উপায় না থাকায় আমরা এইখানে কোনো রকম টিক্যা (টিকে) আছি।’আরেক বাসিন্দা মাইনুদ্দিন পেয়াদা (৪৮) বলেন, ‘ব্যারাকের ভাঙা ঘরে অনেক কষ্টে পরিবার লইয়া টিক্যা রইছি। একটু বৃষ্টি হইলেই ঘরের মালামাল ভিজ্যা যায়। বান ছাড়লে তো কথাই নাই। পোলাপান তখন হাউমাউ করে কান্নাকাটি শুরু করে। এই ঘরগুলায় এখন আর মানুষের থাকার অবস্থা নাই। কয়েক দিন পরে আমিও অন্য জায়গায় যাওনের কথা ভাবছি। এখানের সবাই সুযোগ পাইলে অন্য জায়গায় চইলা যাইবে।’চালিতাবুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. ফজলুর রহমান বলেন, ‘আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দারা অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। ইচ্ছা থাকলেও তাঁদের সুবিধার জন্য কিছুই করতে পারছি না। কারণ এ খাতে খরচ করার মতো সরকারি কোনো বরাদ্দ নেই।’রাঙ্গাবালী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা তপন কুমার ঘোষ সেখানকার ৪০টি পরিবারের ঘর ছেড়ে চলে যাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, ‘আমরা একাধিকবার সরেজমিনে চালিতাবুনিয়ার চরলতা আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দাদের দুর্ভোগের অবস্থা দেখেছি। আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরগুলো সংস্কারের জন্য কর্তৃপক্ষ বরাবর লিখিতভাবে জানিয়েছি। কিন্তু পুরোনো আশ্রয়ণ প্রকল্পের সংস্কারের জন্য এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের বরাদ্দ পাওয়া যায়নি। অন্য খাত থেকে এ খাতে খরচ করারও কোনো সুযোগ নেই।’
171,310
খেলা ডেস্ক
sports
খেলা
২৫ জুন ২০১৮, ০১:৫৯
২৫ জুন ২০১৮, ১২:২১
ফুটবল,কলম্বিয়া,বিশ্বকাপ ফুটবল ২০১৮,পোল্যান্ড
null
লন্ডভন্ড লেভানডফস্কিদের স্বপ্ন
http://www.prothom-alo.com/sports/article/1517326
কাজানে পোল্যান্ডকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে কলম্বিয়া।৪০ মিনিটে কলম্বিয়াকে এগিয়ে নেন ইয়েরি মিনা।৭০ মিনিটে স্কোরলাইন ২-০ করে ফেলেন রাদামেল ফ্যালকাও।মিনিট পাঁচেক পর পোল্যান্ডের জালে আরও একটি গোল দেন হুয়ান কুয়াদ্রাদো।কর্নার কিক নেওয়ার আগে দুহাতে কাজানে উপস্থিতি ১৬ হাজার কলম্বিয়ান দর্শকের দিকে হামেস রদ্রিগেজ ইঙ্গিত দিলেন—আওয়াজ তুলুন, উৎসাহ দিন। তখনো যে গোলের দেখা পায়নি কলম্বিয়া। ম্যাচটা হারলেই বিদায়, কলম্বিয়াকে জিততেই হবে। শেষ পর্যন্ত কলম্বিয়াই জিতেছে। শুধু জেতেইনি পোল্যান্ডকে ৩-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছে। লন্ডভন্ড করেছে লেভানডফস্কিদের স্বপ্ন! বিদায় নিশ্চিত হয়ে গেছে পোল্যান্ডের।আক্রমণ পোল্যান্ডই আগে শুরু করেছিল। ম্যাচের শুরুতে হাই প্রেসিং ফুটবলে ভিন্ন কিছুর আভাস দিয়েছিল পোলিশরা। কিন্তু ছন্দটা বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি তারা। দ্রুতই খেলায় ফেরে কলম্বিয়া। প্রথমার্ধের সময় যত গড়িয়েছে, ততই ডানা মেলতে শুরু করে তারা। ছন্দময় ফুটবলে গতি বাড়ায়। জাঁকিয়ে বসে পোলিশদের ওপর। হোসে প্যাকারম্যানের অভিজ্ঞ চোখে পোলিশ রক্ষণের ডান প্রান্তে একটা ফাটল ধরা পড়ে। এই ফাটলটাই ভীষণ কাজে লাগিয়েছে কলম্বিয়া।প্রথমার্ধের শেষ দিকে বারবার কলম্বিয়া বক্সে ঢুকেছে ডান প্রান্ত থেকে। বিশেষ করে হুয়ান কুয়াদ্রাদো বেশ কবার চেষ্টা করেছেন, কাজ হয়নি। অবশেষে দৃশ্যপটে হামেস রদ্রিগেজ। রদ্রিগেজের মাপা ক্রসে এ বছরের শুরুতে বার্সেলোনায় নাম লেখানো ইয়েরি মিনা মাথা ছোঁয়াতেই ৪০ মিনিটে এগিয়ে যায় কলম্বিয়া। কাজানের গ্যালারিতে হলুদের ঢেউ, আর সেই ঢেউয়ে শুধু আনন্দের সুর।তাদের এই আনন্দ বজায় থেকেছে ম্যাচের একেবারে শেষ পর্যন্ত। দ্বিতীয়ার্ধে গোল শোধ করবে কী, পোল্যান্ডকে দাঁড়াতেই দেয়নি কলম্বিয়া। মাঠজুড়ে নান্দনিক ফুটবলের ফুল ফুটিয়েছেন রদ্রিগেজরা। ৭০ মিনিটে হুয়ান কিন্তেরোর বাড়িয়ে দেওয়া বলে কী অসাধারণ ফিনিশিং ফ্যালকাওয়ের। যেন জ্যামিতিক সূত্র মেনে আগুয়ান পোলিশ গোল রক্ষককে হার মানিয়েছেন কলম্বিয়ান ফরোয়ার্ড। বিশ্বকাপে ফ্যালকাওয়ের প্রথম গোল, বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস তাঁর তো হবেই। মিনিট পাঁচেক পর কুয়াদ্রাদোর গোলটাও কি কম সুন্দর! রদ্রিগেজের বাড়িয়ে দেওয়া লম্বা পাসটা কী দারুণভাবে জড়িয়ে দিলেন জালে।ভেঙে পড়া পোল্যান্ড এই ম্যাচে আর ফিরবে কী করে, শেষ মুহূর্তে কলম্বিয়ানদের আক্রমণ ঠেকাতেই ব্যস্ত থাকতে হলো। পোল্যান্ডের বড় ভরসা লেভানডফস্কি আজ যেন বিচ্ছিন্ন দ্বীপের বাসিন্দা! ফ্যালকাওরা যখন একেকটা গোল দিচ্ছিলেন, বায়ার্ন তারকার অসহায় আর হতাশামাখা মুখ বলে দিচ্ছিল, কাজানে তাঁরা নেমেছে শুধু হলুদ ঢেউ দেখতে! একনজরে কলম্বিয়া একনজরে পোল্যান্ড
368,351
-1
bangladesh
বাংলাদেশ
১০ এপ্রিল ২০১৪, ০১:২৫
১০ এপ্রিল ২০১৪, ০১:২৭
-1
0
মৃত্যুবার্ষিকী
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/188797
ডা. আবদুল ওয়াহেদভাষাসৈনিক ডা. আবদুল ওয়াহেদের ২৮তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ বৃহস্পতিবার। এ উপলক্ষে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাংগরায় তাঁর গ্রামের বাড়িতে এবং ঢাকার আসাদগেটে তাঁর ছেলের বাসায় মিলাদ মাহফিল ও কোরআনখানির আযোজন করা হয়েছে। এতে তাঁর আত্মীয়স্বজন ও শুভানুধ্যায়ীদের উপস্থিত থাকতে পরিবারের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি।
64,878
মোর্শেদ নোমান
bangladesh
বাংলাদেশ
২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫, ১৪:৪৩
২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫, ১৪:৪৩
-1
null
এক হওয়ার অনুমতি চেয়েছে রবি-এয়ারটেল
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/641956
একীভূত হওয়ার অনুমতি চেয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনে (বিটিআরসি) চিঠি দিয়েছে বেসরকারি মোবাইল অপারেটর রবি আজিয়াটা ও এয়ারটেল বাংলাদেশ। কাল বুধবার বিটিআরসির কমিশন সভায় এ বিষয়ে আলোচনা হতে পারে বলে জানা গেছে।টেলিযোগাযোগ খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে পাঠানো ওই চিঠিতে সই করেছেন এয়ারটেল বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা প্রশান্ত দাস শর্মা এবং রবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সুপুন বীরাসিংহে।এয়ারটেল ও রবির শীর্ষ পর্যায় এবং বিটিআরসি সূত্র প্রথম আলোকে ওই চিঠির দেওয়ার তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছে।দুই কোম্পানির যৌথ চিঠিতে বলা হয়, এক হওয়ার পর প্রতিষ্ঠানের ৭৫ শতাংশ শেয়ার থাকবে আজিয়াটা গ্রুপ বারহাদ ও এনটিটি ডোকামোর কাছে, বাকি ২৫ শতাংশ শেয়ার ভারতী এয়ারটেলের কাছে থাকবে।দুটি কোম্পানি একীভূত হলে গ্রাহকদের কোনো ধরনের অসুবিধা হবে না বলে উল্লেখ করে চিঠিতে বলা হয়, এতে গ্রাহকসেবা আরও উন্নত হবে। এয়ারটেলের গ্রাহকদের নম্বর (০১৬ দিয়ে শুরু) অপরিবর্তিত থাকবে। তিন বছর পর ০১৬ দিয়ে নতুন সংযোগ দেওয়া হবে না।গত ৯ সেপ্টেম্বর ব্যবসা এক করার আলোচনা শুরু করে বাংলাদেশের এই দুই মোবাইল ফোন অপারেটর। এক হওয়ার উদ্যোগ প্রসঙ্গে আলোচনা শুরু করার বিষয়টি ওই দিনই এক যৌথ বিবৃতিতে তারা নিশ্চিত করেছে। যৌথ বিবৃতিতে রবি ও এয়ারটেল বলেছে, ‘দুই পক্ষের এ আলোচনা সফল হবে কি না, তা এখনই নিশ্চিত করে বলা যাবে না। এ ঘোষণা উভয় প্রতিষ্ঠানের পর্যালোচনার উদ্যোগকে সহায়তা করবে। পরস্পরের মধ্যে তথ্য আদান-প্রদানের আলোচনার পথকে সহজ করবে। এ বিষয়ে বিশেষ কোনো অগ্রগতি হলে আজিয়াটা ও ভারতী এয়ারটেল পরবর্তীতে ঘোষণা দেবে।’ওই উদ্যোগের ধারাবাহিকতায় নানা আলোচনার পর বিটিআরসির কাছে চিঠিটি পাঠানো হয় বলে কোম্পানি দুটির সূত্রে জানা গেছে। উদ্যোগটি সফল হলে বাংলাদেশের মোবাইল ফোন অপারেটরদের মধ্যে তৃতীয় অবস্থানে থাকা রবি আজিয়াটা ও চতুর্থ অবস্থানে থাকা এয়ারটেল মিলে দ্বিতীয় অবস্থানটি দখল করবে।এয়ারটেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা প্রশান্ত দাস শর্মা প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা আগেই আমাদের অবস্থান জানিয়েছি। দুটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে আগেই। সে ধারাবাহিকতায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।’নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিটিআরসির একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, প্রতিষ্ঠান দুটির প্রধান নির্বাহীদের সই করা চিঠি বিটিআরসিতে এসেছে। আগামীকাল বুধবার কমিশনের সভায় এ বিষয়ে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে।বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) সর্বশেষ প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুযায়ী, রবির গ্রাহকসংখ্যা দুই কোটি ৭৯ লাখ আর এয়ারটেলের গ্রাহকসংখ্যা ৯০ লাখ ৮০ হাজার। দুটি কোম্পানি এক হলে তিন কোটি ৭০ লাখ গ্রাহক নিয়ে এটিই হবে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মোবাইল অপারেটর। বর্তমানে পাঁচ কোটি ৩৯ লাখ গ্রাহক নিয়ে বাংলাদেশে শীর্ষে রয়েছে গ্রামীণফোন। তিন কোটি ২৪ লাখ গ্রাহক নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে বাংলালিংক।রবি আজিয়াটা মালয়েশিয়ার আজিয়াটা গ্রুপ বারহাদ ও জাপানের এনটিটি ডোকামোর যৌথ উদ্যোগ। এখানে আজিয়াটার শেয়ারের পরিমাণ ৯২ শতাংশ আর এনটিটি ডোকোমোর শেয়ার ৮ শতাংশ।১৯৯৭ সালে একটেল নামে বাংলাদেশে যাত্রা শুরু করে রবি। বাংলাদেশের শিল্পগোষ্ঠী এ কে খান গ্রুপ ও টেলিকম মালয়েশিয়ার যৌথ অংশীদারি কোম্পানি ছিল একটেল। ২০০৯ সালে এ কে খান গ্রুপ ও টেলিকম মালয়েশিয়া আজিয়াটার কাছে রবির মালিকানা বিক্রি করে দেয়। ২০১০ সালের ২৮ মার্চ ‘রবি’ নামে বাংলাদেশে ব্যবসা শুরু করে তারা।রবির পরিশোধিত মূলধনের (পেইড-আপ ক্যাপিটাল) পরিমাণ দাঁড়িয়েছে তিন হাজার ৭০০ কোটি টাকা। প্রতিষ্ঠানটিতে বর্তমানে কর্মরত আছেন এক হাজার ৬০০ জনের বেশি। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে এক হাজার ৫৮০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে রবি।ভারতী এয়ারটেল ২০১০ সালে ওয়ারিদ টেলিকমের ৭০ শতাংশ কিনে নিয়ে এয়ারটেল বাংলাদেশ নামে ব্যবসা শুরু করে। ২০১৩ সালে বাকি ৩০ শতাংশ কিনে নেয় ভারতী এয়ারটেল। ভারতী এয়ারটেল এশিয়া, আফ্রিকাসহ বিশ্বের ২১ টির দেশে ৩০ কোটির বেশি গ্রাহক নিয়ে বর্তমানে বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম মুঠোফোন অপারেটর। এখানে মোট কর্মরত জনবলের সংখ্যা ২৫ হাজারের বেশি। এয়ারটেল বাংলাদেশে কর্মরত জনবলের সংখ্যা ৫০০ জনের বেশি।
172,047
গাজীপুর প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ২০:৫৬
০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ২১:৫২
গাজীপুর,অপরাধ
null
ড্রামের সেই লাশটি স্কুলশিক্ষকের
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1312091
গাজীপুরে ড্রাম থেকে উদ্ধার হওয়া নারীর লাশের পরিচয় পাওয়া গেছে। নিহত নারী নার্গিস বেগম (৫৪) নরসিংদী জেলার পূর্ব ব্রাহ্মণদি এলাকার আবদুর রহিমের মেয়ে এবং সাবেক এনএসআই কর্মকর্তা আনসার উল্লাহর স্ত্রী। নার্গিস আনসার উল্লাহর দ্বিতীয় স্ত্রী। তিনি নরসিংদীর ঘোরাদিয়া সরকারি প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক ছিলেন।নিহত নার্গিসের ভাই সাইদুর রহিম জানান, আনসার উল্লাহ সাবেক এনএসআইয়ের কর্মকর্তা। তিনি প্রথম স্ত্রী ও উভয় পক্ষের সন্তানদের নিয়ে ঢাকার তেজকুনিপাড়ার ১৭০ নম্বর বাসায় থাকেন। আনসার উল্লাহ বর্তমানে প্রথম স্ত্রী নিয়ে মক্কায় হজ পালন করছেন। আগের ঘরে দুই মেয়ে রয়েছে। নার্গিসের ঘরে তিন ছেলে-মেয়ের মধ্যে বড় ছেলে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ছোট ছেলে কুয়েটের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। সবার বড় মেয়েও ঢাকায় বসবাস করেন।জয়দেবপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মন্তোষ চন্দ্র দাস বলেন, গত বৃহস্পতিবার সকাল ৫টার দিকে তেজকুনিপাড়ার বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন নার্গিস। শনিবার ঈদের দিন দুপুরে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ভোগড়া পেয়ারা বাগানের কাছে ঢাকা বাইপাস সড়কের পাশে কাওরান বাজার আড়তের গেইটের সামনে থেকে ওই নারীর লাশ ভরা ড্রাম উদ্ধার করে পুলিশ। তাঁর ছেলে নাজিউর রহমান মায়ের লাশ শনাক্ত করেছেন। নার্গিস চাকরির কারণে নরসিংদীতে থাকেন। ছুটির দিনে বা কোনো প্রয়োজনে নার্গিস ঢাকার বাসায় থাকেন।এসআই মন্তোষ আরও বলেন, গত শনিবার ঈদের দিন বেলা ১১টার দিকে এলাকাবাসী ড্রাম থেকে দুর্গন্ধ পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। পরে দুপুরে ড্রামে থাকা নারীর লাশটি উদ্ধার করে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। লাশের অবস্থা দেখে ধারণা করা হয়েছিল ২-৩ দিন আগে দুর্বৃত্তরা তাঁকে হত্যার পর ড্রামে ভরে বাইপাস সড়কের পাশে ফেলে রেখে গেছে।শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক প্রণয় ভূষণ দাস জানান, নিহত নারীর বুকে ও পেটে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিক লক্ষণ দেখে মনে হচ্ছে, ২-৩ তিন আগে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে।এ ব্যাপারে গতকাল রোববার বিকেলে নিহত নারীর ভাই আহমেদ হোসেন মানিক বাদী হয়ে জয়দেবপুর থানায় মামলা করেছেন।
336,369
তারাগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
২৪ জুন ২০১৫, ০০:৫৭
২৪ জুন ২০১৫, ০০:৫৮
তারাগঞ্জ,রংপুর,রংপুর বিভাগ,বিশাল বাংলা
0
পাঁচ দিন ধরে ক্লাস বর্জন শিক্ষকদের
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/560755
রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার ইকরচালী ডিগ্রি কলেজে পাঁচ দিন ধরে পাঠদান থেকে বিরত রয়েছেন শিক্ষকেরা। শিক্ষকদের অভিযোগ, কলেজটির উন্নয়নে স্থানীয় সাংসদ ২০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেন। টাকাটা তুলতে কমিটি গঠনের জন্য ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবদুল মোন্নাফ ১৮ জুন বৈঠকে বসেন। এ সময় শিক্ষক প্রতিনিধি গোলজার হোসেন অধ্যক্ষের কাছে ২০ হাজার টাকায় কলেজের কী কী কাজ হবে, তা জানতে চান। এতে অধ্যক্ষ ক্ষুব্ধ হয়ে তাঁকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও লাঞ্ছিত করেন। এ ঘটনার প্রতিবাদে ওই দিন থেকে শিক্ষকেরা অধ্যক্ষের বিচারের দাবিতে ক্লাস বর্জন করে আসছেন।ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবদুল মোন্নাফ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘ওই শিক্ষক প্রতিনিধিই আমাকে গালি দিয়েছেন। নিজের দোষ ঢাকতে শিক্ষকদের নিয়ে আন্দোলন শুরু করছেন।’
147,613
বিনোদন প্রতিবেদক
entertainment
বিনোদন
১৭ জুলাই ২০১৮, ২৩:৩০
১৮ জুলাই ২০১৮, ০৯:৩২
অপরাধ,চলচ্চিত্র
null
সদস্য না হয়ে শুটিং, এফডিসিতে মারধর
http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/1535076
সহকারী পরিচালক সমিতির সদস্য না হয়ে শুটিং করার অভিযোগে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (বিএফডিসি) ছবির শুটিং চলার সময় মারধর করা হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন উৎপাদন ও ব্যবস্থাপনা সমিতির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউল হক মনির। তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।আজ মঙ্গলবার রাত আটটার দিকে সহকারী পরিচালক সমিতি (সিডাব) এবং উৎপাদন ও ব্যবস্থাপনা সমিতির সদস্যদের মধ্যে কড়ইতলায় ‘বয়ফ্রেন্ড’ ছবির শুটিং সেটে অপ্রীতিকর এ ঘটনা ঘটে।জিয়াউল হক ‘বয়ফ্রেন্ড’ ছবির সহকারী পরিচালক। তিনি সহকারী পরিচালক সমিতির সদস্য না হয়ে শুটিং করছেন—এমন অভিযোগে সহকারী পরিচালক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কাজী মনির ও সহসাধারণ সম্পাদক সরদার মামুনের নেতৃত্বে ৮ থেকে ১০ জনের একটি দল কড়ইতলায় শুটিংয়ের সময় জিয়াউল হককে বেধড়ক মারধর করেন। এ খবর উৎপাদন ও ব্যবস্থাপনা সমিতির কার্যালয়ে পৌঁছালে তাঁরা সংগঠিত হয়ে পাল্টা ধাওয়া দেন। পালিয়ে যাওয়ার সময় এফডিসির ক্যানটিনের সামনে পালটা হামলাকারীদের কবলে পড়ে গাজী নামের সিডাবের এক সদস্য আহত হন। খবর পেয়ে পরিচালক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার ও প্রচার সম্পাদক বজলুর রশিদ চৌধুরী ঘটনাস্থালে পৌঁছে উভয় পক্ষকে শান্ত করেন।গুরুতর আহত জিয়াউল হককে প্রথমে মগবাজার ইনসাফ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।উৎপাদন ও ব্যবস্থাপনা সমিতির সহসভাপতি আবদুস সালাম বলেন, এ ঘটনায় তেঁজগাও শিল্প অঞ্চল থানায় আহত জিয়াউল হকের পক্ষ থেকে একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।পরিচালক সমিতির পক্ষ থেকে আগামীকাল বুধবার দুপুর ১২টা দুই পক্ষের মধ্যস্থতা করার জন্য ডাকা হয়েছে।জিয়াউল হক সহকারী পরিচালক সমিতির (সিডাব) সদস্যপদ পাওয়ার জন্য আবেদন করছিলেন। একাধিকবার চিঠিও দিয়েছিলেন। কিন্তু সিডাব থেকে কোনো সাড়া না পাওয়ায় তিনি শুটিং করছিলেন।এ ব্যাপারে আহত জিয়াউল হক বলেন, ‘আমি সদস্যপদ পাওয়ার জন্য একাধিকবার আবেদন করেছি। কিন্তু ইচ্ছাকৃতভাবে তারা আমাকে সদস্যপদ দেয়নি। অন্যায়ভাবে আমাকে মারা হয়েছে।’সহকারী পরিচালক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কাজী মনির ও সহসাধারণ সম্পাদক সরদার মামুনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তাঁরা ফোন ধরেননি।
370,638
রংপুর প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
১২ ডিসেম্বর ২০১৫, ২৩:০৩
১২ ডিসেম্বর ২০১৫, ২৩:৩৭
-1
0
সততার পক্ষে থাকবে প্রথম আলো, প্রত্যাশা পাঠকের
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/710536
শীতের বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা। একই শামিয়ানার নিচে একে একে এলেন বিশিষ্ট অতিথিরা। তাঁদের মধ্যে আছেন মুক্তিযোদ্ধা, রাজনীতিক, শিক্ষাবিদ, সাহিত্যিক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, আইনজীবী, মানবাধিকার কর্মী, নারী সংগঠক, চিকিৎসক, শিক্ষক, প্রশাসনের কর্মকতাসহ অনেকেই। বিশিষ্ট ব্যক্তিদের পদচারণা, বক্তব্য আর গল্প আড্ডায় মুখরিত হলো চারপাশ।প্রথম আলোর ১৭ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আজ শনিবার রংপুর শহরের কামাল কাছনায় অ্যাসোড ট্রেনিং সেন্টারে আয়োজিত সুধী সমাবেশের দৃশ্য ছিল এমনই। সুধীজনদের কয়েকজন বক্তব্য দিতে গিয়ে প্রত্যাশা ব্যক্ত করে বলেন, প্রথম আলো সততার পক্ষে আছে। ভবিষ্যতেও থাকবে।সন্ধ্যা ছয়টা থেকে আমন্ত্রিত অতিথিরা একে একে আসতে শুরু করেন। তাঁদের অভ্যর্থনা জানান প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক আনিসুল হক, সার্কুলেশন বিভাগের সহকারী মহাব্যবস্থাপক সুব্রত শীল, উপব্যবস্থাপক (ইভেন্ট ও অ্যাকটিভেশন) কবির বকুল, বিশাল বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান তুহিন সাইফুল্লাহ। রংপুর বন্ধুসভার বন্ধুরা গোলাপ ফুল দিয়ে অতিথিদের স্বাগত জানান।সন্ধ্যা সাতটায় শুরু হয় অনুষ্ঠান। অতিথিদের স্বাগত জানিয়ে বক্তব্য দেন রংপুরের প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক আরিফুল হক। এরপর দেখানো হয় প্রথম আলোর ১৭ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নির্মিত বিশেষ প্রামাণ্যচিত্র ‘অদম্য মেয়েরা’। এতে ময়মনসিংহের সীমান্তবর্তী ধোবাউড়া উপজেলার কলসিন্দুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের স্কুল শাখার ফুটবলার মেয়েদের হার না-মানা গল্প দেখানো হয়।একপর্যায়ে মঞ্চে আসেন রংপুরের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ কারমাইকেল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ রেজাউল হক। তিনি বলেন, ‘আমি প্রথম দিন থেকে প্রথম আলোর পাঠক। আমি দেখেছি, প্রথম আলো সব সময় সততার পক্ষে রয়েছে। ভবিষ্যতেও থাকবে। উন্নয়নমূলক আরও বেশি বেশি খবর প্রকাশের প্রত্যাশা করি।’প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক আনিসুল হক বলেন, তারুণ্যের শক্তি বাংলাদেশের সম্ভাবনা। এই শক্তি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়বে। তিনি বলেন, এই রংপুরের মিঠাপুকুরের পায়রাবন্দ থেকে বেগম রোকেয়া নারী জাগরণের জন্য কাজ করেছেন। আমাদের এই দেশ এগিয়ে গেছে। আরও এগিয়ে যাবে।বক্তব্য পর্ব শেষে শুরু হয় পাঠকদের পরামর্শ ও প্রশ্ন গ্রহণের পর্ব। আনিসুল হকসহ অনুষ্ঠানে উপস্থিত প্রথম আলোর বিভিন্ন বিভাগে কর্মরত ব্যক্তিরা পাঠকদের পরামর্শ গ্রহণের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।শিল্পী দিনাত জাহান মুন্নীর কণ্ঠে একাধিক গান দিয়ে অনুষ্ঠান শেষ হয়। পরে নৈশভোজে যোগ দেন অতিথিরা।অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য একেএম নূর-উন-নবী, এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক মোস্তফা আজাদ চৌধুরী, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি সাফিউর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক তুষার কান্তি মণ্ডল, সচেতন নাগরিক কমিটির সভাপতি মোশফেকা রাজ্জাক, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক রথীশ চন্দ্র ভৌমিক প্রমুখ।
182,550
বিনোদন প্রতিবেদক
entertainment
বিনোদন
০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৭:৫২
০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৭:৫৪
ঢালিউড
null
‘ক্ষোভ থেকে দেশ ছাড়িনি’
http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/1556856
‘কারও ওপর ক্ষোভ থেকে দেশ ছাড়িনি। দুই দিনের জন্য গিয়েছিলাম। ওখানে গিয়ে এমন ফেঁসে গেলাম, আর আসতে পারিনি।’ বললেন চিত্রনায়িকা অঞ্জু ঘোষ। তিনি এখন স্থায়ীভাবে আছেন ভারতের কলকাতায়। মাঝে মাঝে বাংলাদেশে আসেন, তবে এবার অনেক বছর পর এসেছেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (বিএফডিসি)। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি গত শতকের আশি ও নব্বইয়ের দশকের জনপ্রিয় এই চিত্রনায়িকাকে সংবর্ধনা দিয়েছে। আজ রোববার বিকেলে রাজধানীর এফডিসিতে সংগঠনটির কার্যালয়ে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।নির্ধারিত সময়ের অনেক পরে শুরু হয় অনুষ্ঠান। এ ব্যাপারে চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন হাসতে হাসতে বলেন, ‘আজ আমি নিজেই একটু দেরি করে এসেছি। কারণ আজ আর সেই বেদের মেয়ে জোসনার জন্য অপেক্ষা করতে চাইনি। আমি চেয়েছি, আজ অন্তত জোসনা আমার আগে চলে আসুক।’তোজাম্মেল হক বকুল পরিচালিত ‘বেদের মেয়ে জোসনা’ ছবিতে একসঙ্গে অভিনয় করেন ইলিয়াস কাঞ্চন ও অঞ্জু ঘোষ। ছবিটি মুক্তি পেয়েছিল ১৯৮৯ সালে। এরপর ছবিটি যে ব্যবসা করেছে, বলা হয় বাংলাদেশে আর কোনো চলচ্চিত্র এখন পর্যন্ত সেই রেকর্ড ভাঙতে পারেনি। আজকের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তাই বারবার সেই চলচ্চিত্রের প্রসঙ্গ সামনে চলে আসে।কোন অভিমান থেকে ভারতে চলে গিয়েছিলেন অঞ্জু ঘোষ? সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি আবারও বলছি, কোনো ক্ষোভ থেকে আমি সেখানে যাইনি। গিয়েছিলাম বেড়াতে। তারপর ওখানে ছবিতে কাজ নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ি, আর ফেরা হয়নি।’ সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে বললেন, ‘আপনারা যে আমাকে এখনো মনে রেখেছেন, আমি সত্যিই দারুণ খুশি হয়েছি। সবার ভালোবাসা দেখে বারবার আমার চোখ ভিজে যাচ্ছে।’অঞ্জু ঘোষ যখন বাংলাদেশ থেকে চলে গিয়েছিলেন, সেই সময়ের চলচ্চিত্র নিয়ে বললেন, ‘আমি যখন এই ইন্ডাস্ট্রিতে এসেছিলাম, তখন ক্লাস নাইনে পড়তাম। সেই থেকে অনেক বছর এখানেই কাজ করেছি। এই এফডিসি তখন কী জমজমাট ছিল! একসঙ্গে চার-পাঁচটি ছবির শুটিং হতো এখানে। শিল্পীদের ভিড় লেগে থাকত। তখন পুরো এফডিসি জুড়ে কী ব্যস্ততা ছিল! এটাই ছিল আমাদের‍ ঘরবাড়ি। এটাই ছিল সংসার। কিন্তু এবার এসে হতাশ হয়েছি। সব পাল্টে গেছে। দর্শক যাতে আবার প্রেক্ষাগৃহে ফিরে আসেন, তার জন্য সবাইকে চেষ্টা করতে হবে।’‘বেদের মেয়ে জোসনা’ ছবির দারুণ সাফল্য নিয়ে অঞ্জু ঘোষ বলেন, ‘ছবিটিতে মাটির টান ছিল। আমরা সবাই মাটিকে ভালোবাসি। এ কারণেই ছবিটি সুপার-ডুপার হিট হয়েছিল।’অঞ্জু ঘোষকে স্বাগত জানিয়ে আজকের অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন আহমেদ শরীফ, অঞ্জনা, সুব্রত, নাদের খান প্রমুখ। অনুষ্ঠানে অঞ্জু ঘোষের হাতে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির আজীবন সদস্যপদের চিঠি তুলে দেন সংগঠনটির সভাপতি মিশা সওদাগর ও সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান।
376,149
-1
opinion
মতামত
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ০০:২৩
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ০০:২৩
মতামত,সম্পাদকীয়:
null
ছাত্র সংসদ নির্বাচন
http://www.prothom-alo.com/opinion/article/768760
এটা খুবই অবাক বিষয় যে পাকিস্তান আমল থেকে সামরিক শাসনামলে বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলোর ছাত্র সংসদের নির্বাচন হলেও গণতান্ত্রিক শাসনামলে তা রহস্যজনক কারণে বন্ধ আছে। ১৯৯০ সালে সেনাশাসক হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের আমলে সর্বশেষ ডাকসু নির্বাচন হয়েছিল। নব্বইয়ের গণ-অভ্যুত্থানের পর পালাক্রমে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ দেশ শাসন করলেও কোনো সরকারই ছাত্র সংসদ নির্বাচনের উদ্যোগ নেয়নি। এটি দুর্ভাগ্যজনক। গত বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদগুলোর নির্বাচন না হওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সাহসের অভাবকে দায়ী করেছেন। কিন্তু এই সাহসের অভাবের পেছনে কী আছে সেটি খোলসা করেননি। তিনি স্বীকার করেছেন যে অতীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচন খুব জনপ্রিয় ছিল। কেবল ‘জনপ্রিয় ছিল’ বললে সবটা বলা হয় না। স্বাধীনতার আগে ও পরের সব গণতান্ত্রিক ও স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনেও ছিল তাদের গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা। বর্তমান সরকারের আমলে ছাত্র সংসদের নির্বাচন না হওয়া আরও দুঃখজনক এ কারণে যে মন্ত্রিসভার উল্লেখযোগ্যসংখ্যক সদস্য আছেন, যাঁরা ছাত্র সংসদের নির্বাচিত নেতাই ছিলেন না, বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে নেতৃত্বও দিয়েছেন। শিক্ষামন্ত্রীর ভাষ্য অনুযায়ী, সামরিক শাসনামলে যদি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ছাত্র সংসদ নির্বাচন করার সাহস দেখাতে পারে, গণতান্ত্রিক আমলে পারবে না কেন? আসলে ছাত্র সংসদ নির্বাচন না হওয়ার পেছনে রাজনৈতিক হিসাব-নিকাশই প্রাধান্য পেয়েছে। ক্ষমতাসীনেরা তাঁদের অনুসারী ছাত্রসংগঠনটির প্রতি ভরসা রাখতে পারছে না বলেই ছাত্র সংসদগুলোর নির্বাচন আটকে আছে।ছাত্র সংসদ নির্বাচন না হওয়ার কারণে শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাস ও দখলদারিই কেবল বাড়েনি, শিক্ষার পরিবেশও বিঘ্নিত হয়েছে। এখন অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে সরকার-সমর্থক ছাত্রসংগঠনটির বাইরের নেতা-কর্মীদের ক্যাম্পাসে থাকাই কঠিন হয়ে পড়েছে। এ অবস্থার উত্তরণ তথা শিক্ষাঙ্গনে সুস্থ ছাত্ররাজনীতি চর্চার জন্য ছাত্র সংসদ নির্বাচনের বিকল্প নেই। শিক্ষামন্ত্রী এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়ার যে আশ্বাস দিয়েছেন, তা নিছক কথার কথা হবে না বলেই আমাদের বিশ্বাস। যত দ্রুত সম্ভব বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলোতে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
201,798
নিজস্ব প্রতিবেদক
bangladesh
বাংলাদেশ
৩০ জানুয়ারি ২০১৪, ০০:০১
৩০ জানুয়ারি ২০১৪, ০০:০১
মহানগর,রাজধানী (জাতীয়),অপরাধ
0
লালমাটিয়ায় ১২টি ককটেল উদ্ধার
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/134848
রাজধানীর লালমাটিয়া এলাকায় শপিং ব্যাগভর্তি ১২টি তাজা ককটেল উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার ককটেলগুলো উদ্ধার করা হয়।পুলিশ জানায়, বেলা সোয়া ১টার দিকে লালমাটিয়া এফ ব্লকের কুতুববাড়ির সামনের ডাস্টবিনে বিকট শব্দে একটি ককটেল বিস্ফোরিত হয়। খবর পেয়ে থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। বিস্ফোরণস্থলে একটি শপিং ব্যাগ পেয়ে সেটি উদ্ধার করা হয়। ব্যাগের মধ্যে কালো ও লাল রঙের স্কচটেপ মোড়ানো ১২টি তাজা ককটেল পাওয়া যায়।মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুর রহমান জানান, কে বা কারা ককটেলগুলো রেখে গেছে তা অনুসন্ধান করা হচ্ছে। উদ্ধার হওয়া ককটেলগুলো নিষ্ক্রিয় করা হবে। এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।
47,695
গাইবান্ধা প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
২৮ এপ্রিল ২০১৪, ০১:১৭
২৮ এপ্রিল ২০১৪, ০১:১৮
বিশাল বাংলা,গাইবান্ধা,রংপুর
0
জরিমানা দিয়ে রক্ষা পেলেন চেয়ারম্যান
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/203449
জরিমানা ও মুচলেকা দিয়ে রক্ষা পেলেন গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার কঞ্চিপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান। জানা গেছে, কঞ্চিপাড়া ইউনিয়নের সড়ক মেরামতের লক্ষ্যে দুই বছরের জন্য ১০ জন দুস্থ কর্মক্ষম নারীশ্রমিক নিয়োগের জন্য সম্প্রতি বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়।গত শনিবার কঞ্চিপাড়া ইউপি চত্বরে ইউএনও মোস্তাফিজুর রহমান ও উপজেলা প্রকৌশলী আখতারুল আহসানের উপস্থিতিতে লটারির মাধ্যমে ১০ জন শ্রমিক নিয়োগ করা হয়। কিন্তু পছন্দের শ্রমিক নিয়োগ না পাওয়ায় ইউপি চেয়ারম্যান আবু বকর সিদ্দিক তাঁর লোকজন নিয়ে উপজেলা প্রকৌশলীকে ঘেরাও করেন। তিনি উপজেলা প্রকৌশলীর কাছ থেকে শ্রমিক নিয়োগের কাগজপত্র ছিনিয়ে নেন। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের দুজন বিচারক রাফিউল ইসলাম ও রাহাত মান্নাফ ওই চেয়ারম্যানকে ৪০০ টাকা জরিমানা করেন ও ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা আর ঘটাবে না বলে তাঁর কাছ থেকে ৩০০ টাকার ননজুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে মুচলেকা নেওয়া হয়।
69,258
নিজস্ব প্রতিবেদক
education
শিক্ষা
১৮ মে ২০১৪, ০১:২২
১৮ মে ২০১৪, ০১:২৩
বিশাল বাংলা,ঢাকা বিভাগ,এস এস সি পরীক্ষার ফল
0
আনন্দ–উচ্ছ্বাস দিনভর
http://www.prothom-alo.com/education/article/218911
গত বছর প্রথম স্থানে থাকতে না পারলেও এবার মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষায় ঢাকা বোর্ডের সেরাদের প্রথম স্থানে আবার চলে এল রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ৷ গতবার প্রতিষ্ঠানটি ছিল তৃতীয় স্থানে৷আর গতবারের প্রথম স্থান অধিকার করা রাজধানীর আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবার রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে৷ তবে বেড়েছে জিপিএ-৫-এর সংখ্যা৷ পাশাপাশি শতভাগ পাসের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ বোর্ডে তৃতীয় হয়েছে৷ গত বছর প্রতিষ্ঠানটি দ্বিতীয় স্থানে ছিল৷ গতকাল শনিবার প্রায় দিনভরই ছিল বিদ্যালয়গুলোতে আনন্দ-উচ্ছ্বাস৷এ নিয়ে মোট চারবার মাধ্যমিকে ঢাকা বোর্ডে সেরা হয়েছে রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ৷ শতভাগ পাসের সঙ্গে এবারের ফলাফলে উচ্ছ্বসিত শিক্ষার্থী, অভিভাবক, শিক্ষক৷ এই বিদ্যালয় থেকে এবার বাংলা ও ইংরেজি মাধ্যম মিলিয়ে বিজ্ঞান ও বাণিজ্য বিভাগ থেকে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ৫১৫ জন৷ এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫০৭ জন৷ বাংলা মাধ্যমে মোট ২৮৮ জন পরীক্ষার্থীর সবাই জিপিএ-৫ পেয়েছে৷গতকাল এসএসসির ফলাফল প্রকাশের আগে অনেকটা উৎকণ্ঠা আর একটু নীরবই ছিল ভিকারুননিসা নূন স্কুল৷ বেলা একটা পর্যন্ত উৎকণ্ঠা নিয়ে স্কুলমাঠে শিক্ষার্থীরা এবং করিডরে অভিভাবকেরা দল বেঁধে নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করেছেন৷বেলা একটার পরপরই তিনজন শিক্ষক মাঠের মধ্যে স্থাপিত নোটিশ বোর্ডে শুরুতে বিজ্ঞান বিভাগের ফলাফল টাঙান৷ সঙ্গে সঙ্গেই ছাত্রীরা উল্লাসে মেতে ওঠে৷ ড্রামের তালে তালে নাচে-আনন্দ-উল্লাসে মেতে ওঠে পরীক্ষার্থীরা৷ কিছুক্ষণ আগে যে অভিভাবকেরা উৎকণ্ঠায় ছিলেন, তাঁরাও সন্তানদের আনন্দ-উল্লাসের সঙ্গী হন৷ পাশাপাশি মুঠোফোনে আত্মীয়স্বজনকে সন্তানের সাফল্যের খবর জানাতে ব্যস্ত থাকেন অভিভাবকেরা।সেরাদের তালিকায় দ্বিতীয় থেকে তৃতীয় স্থানে আসা প্রসঙ্গে ভিকারুননিসার অধ্যক্ষ মঞ্জু আরা বেগম প্রথম আলোকে বলেন, ‘মোট এক হাজার ৩৯৬ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে অল্প কয়েকজন জিপিএ-৫ পায়নি। কিন্তু শতভাগ পাস করেছে। আর কয়েকজন পরীক্ষা দেয়নি। সে হিসাবে আমাদের এবারের সাফল্য চমৎকার।’গতবারের প্রথম স্থান অধিকার করা মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীদের হাতে ফলাফল পৌঁছে যায় দুপুর ১২টায়৷ বিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণজুড়ে বয়ে যায় একটাই শব্দ: ‘আইডিয়াল দ্য বেস্ট’৷ ঢোল বাজিয়ে উল্লাসের পাশাপাশি চলে মিষ্টিমুখের ধুম। অভিভাবকেরা মুগ্ধ চোখে দেখেন সন্তানের আনন্দ। এই বিদ্যালয় থেকে এ বছর পরীক্ষায় অংশ নেয় এক হাজার ৪০৫ জন। পাসের হার শতভাগ। মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে এক হাজার ৩৫৫ জন।এই বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ শাহান আরা বেগম প্রথম আলোকে বলেন, সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এ সাফল্য। এ ছাড়া শিক্ষার্থীরাও অনেক কষ্ট করেছে। তবে আরও ভালো করতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।প্রথম স্থান হারানো প্রসঙ্গে শাহান আরা বেগম বলেন, ‘যে বিদ্যালয়টি এবার প্রথম হয়েছে, তাদের শিক্ষার্থীদের সংখ্যা আমাদের তুলনায় অনেক কম। এ ছাড়া আমাদের বিদ্যালয়ে বিভিন্ন পেশার মানুষের সন্তানেরা পড়াশোনা করার সুযোগ পায়। তুলনামূলক হিসাবে আমরা এবার অনেক ভালো করেছি।’বোর্ডে সেরা বিদ্যালয়ের তালিকায় চতুর্থ স্থানে রয়েছে মাইলস্টোন কলেজ, পঞ্চম স্থানে মতিঝিল মডেল হাইস্কুল, ষষ্ঠ স্থান অধিকার করেছে ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ, সপ্তম স্থান অধিকার করেছে আদমজী ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল, অষ্টম স্থানে রয়েছে মতিঝিল সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয়, নবম স্থানে ডেমরার শামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং দশম স্থান অধিকার করেছে টাঙ্গাইলের বিন্দুবাসিনী সরকারি উচ্চবিদ্যালয়।এ ছাড়া সেরা ২০-এর তালিকায় রয়েছে যথাক্রমে হলিক্রস গার্লস হাইস্কুল, মতিঝিল সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, ময়মনসিংহ জিলা স্কুল, লালবাগের বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ পাবলিক কলেজ, গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাইস্কুল, কাফরুলের শহীদ পুলিশ স্মৃতি স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মোহাম্মদপুর প্রিপারেটির হায়ার সেকেন্ডারি স্কুল, িমর্জাপুর ক্যাডেট কলেজ, ময়মনসিংহ গার্লস ক্যাডেট কলেজ, সেন্ট যোসেফ হাইস্কুল ও মিনপুর হাইস্কুল। এর মধ্যে িমর্জাপুর ক্যাডেট কলেজ ও ময়মনসিংহ গার্লস ক্যাডেট কলেজ যৌথভাবে বোর্ডের তালিকায় ১৮তম স্থান অধিকার করেছে।
74,187
বিশেষ প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ২২:৩৯
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ২২:৪৮
সংসদ
null
‘জয় কী করবে সেটা তার ওপরই নির্ভর করছে’
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/779482
প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় নিজের পথ নিজেই দেখবেন বলে জানিয়েছেন তাঁর মা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘জয় ভবিষ্যতে কী করবে, সেটা সম্পূর্ণ তার ওপরই নির্ভর করছে। তবে সে কিন্তু আমাদের সহযোগিতা করছে।’আজ বুধবার জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তরে জাতীয় পার্টির (জাপা) সাংসদ ফখরুল ইমামের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।জয় সম্পর্কে ফখরুল ইমামের প্রশ্নটি ছিল ইঙ্গিতপূর্ণ এবং কিছুটা জটিল। সম্পূরক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘জয় বাংলা’ দুটি শব্দ এবং ‘প্রথম’ শব্দটি নিয়ে আপনি কী চিন্তাভাবনা করছেন? তাঁর দ্বিতীয় প্রশ্নটি ছিল, পুরুষের অধিকার নিয়ে প্রধানমন্ত্রী কী চিন্তাভাবনা করছেন?প্রশ্নকর্তার এসব প্রশ্ন শুনে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ‘মাননীয় সংসদ সদস্য, আপনার প্রশ্ন তো সম্পূরক নয়।’ তবে প্রধানমন্ত্রী প্রশ্নটির উত্তর দেন। জয় বাংলা-সম্পর্কিত প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “‘জয়” একটি শব্দ এবং “বাংলা” আরেকটি শব্দ। দুটো মিলেই জয় বাংলা। জয় বাংলা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের স্লোগান। জয় বাংলা এবং জয় বঙ্গবন্ধু স্লোগান দিয়েই আমরা বাংলাদেশ স্বাধীন করেছি। মুক্তিযুদ্ধের সময় এটাই ছিল আমাদের কাছে সবচেয়ে অনুপ্রেরণাদায়ী স্লোগান। কাজেই এই শব্দটাকে ভাগ করার উপায় নেই। তবে আমি জানি না, মাননীয় স্পিকার উনি (প্রশ্নকর্তা সাংসদ) কী বলতে চেয়েছেন।’প্রধানমন্ত্রী তখন বলেন, ‘ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া শিখিয়েছি। তাদের বলেছি, তোমাদের কোনো সম্পদ দিতে পারব না। তোমাদের একটি বড় সম্পদ যত পারো শিক্ষা গ্রহণ করো। ওটাই তোমাদের জীবন-জীবিকা তৈরি করে দেবে। আর তাদের জীবনের ভবিষ্যৎ তারা নিজেরাই ঠিক করবে। এ দায়িত্ব তাদের ওপরেই ছেড়ে দিয়েছি। কাজেই জয় ভবিষ্যতে কী করবে এটা সম্পূর্ণ তার ওপর নির্ভর করে। সে কিন্তু আমাদের সহযোগিতা করছে। আজকে যে ডিজিটাল বাংলাদেশ করছি, সেখানে যতটুকু অর্জন, তার পরামর্শমতোই হচ্ছে।’ তিনি বলেন, সে (জয়) জনগণের জন্য সেবা ও সাহায্য করছে। কিন্তু কোনো কিছু পাওয়ার আশা বা নিতে আসেনি। সে যতটুকু পারছে দিচ্ছে। ‘জয় বাংলা’ স্লোগানের প্রেরণাই তাকে উদ্দীপ্ত করছে দেশের সেবা করতে। আর তার পথ সে নিজে দেখবে।পুরুষের অধিকার সম্পর্কে প্রশ্নকর্তা সাংসদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ওনার ঘরে উনি যে ওনার বউকে এত ভয় পান, এটা আমরা জানতাম না। তবে ভাগ্য ভালো, উনি ওনার ঘরে পুলিশি পাহারার কথা বলেন নাই। পৃথিবীকে আসলে কেউ বদলাতে পারে না। জীবন বদলাতে পারে। ঘরে আপনি চ্যানেল বদলাতে পারেন না। এটা তো সমঝোতা করে নেওয়া যায়। কে কখন কতটুকু সময় টেলিভিশন দেখবেন, তা ঘরের কর্ত্রীর সঙ্গে বসে একটা সমঝোতা করে নেন। যাতে চ্যানেল বদলানো নিয়ে কোনো সংঘাত না হয়।’পুলিশে জামায়াত-শিবির ঢোকা প্রসঙ্গতরীকত ফেডারেশনের নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী পুলিশে জামায়াত-শিবিরের লোক নিয়োগ হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন। জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পুলিশে নিয়োগের জন্য একটি নীতিমালা আছে। তবে এটা ঠিক, ২০১৪ সালের নির্বাচন ঠেকানো ও গত বছর বিএনপি-জামায়াত জোট যে তাণ্ডব চালিয়েছিল, সে সময় পুলিশ সদস্যও রেহাই পায়নি। পুলিশকেও তারা মেরেছে, আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করেছে। তাদের হাতে পুলিশ নির্মমভাবে হত্যার শিকার হয়েছে। সেই পুলিশ বাহিনী যখন লোক নিয়োগ করবে, সেখানে দায়িত্বে থাকেন তাদের কর্মকর্তারা। তিনি বলেন, ‘এটা দেখার দায়িত্ব পুলিশ বাহিনীর। আমরা আশা করি, তারা তা দেখবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘সেই সঙ্গে সব সাংসদকে বলতে চাই, নিজ নিজ এলাকায় এ ধরনের কেউ যদি পুলিশ বাহিনীতে ঢুকে থাকে, সে খবর গোয়েন্দা বাহিনীর হাতে দিলে নিশ্চয়ই তারা সে বিষয়টি যাচাই করে দেখবে এবং যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।’
204,514
-1
entertainment
বিনোদন
১১ আগস্ট ২০১৬, ০২:৪৫
১১ আগস্ট ২০১৬, ০২:৪৫
সংস্কৃতি
0
ওডারল্যান্ডকে নিয়ে তথ্যচিত্র
http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/942907
একাত্তরের মার্চ! জুতা প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান বাটার এক বিদেশি কর্মকর্তার মনেও লাগে যুদ্ধের উত্তাপের আঁচ। শুরুতে বাংলাদেশের হয়ে গুপ্তচরের কাজ করলেও পরে ঝাঁপিয়ে পড়েন মুক্তিযুদ্ধে। যুদ্ধ শেষে তাঁকে বীর প্রতীক উপাধিতে ভূষিত করা হয়। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র বিদেশি বীর প্রতীক উইলিয়াম এ এস ওডারল্যান্ড। তাঁকে নিয়ে গতকাল বিকেলে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে দেখানো হলো তথ্যচিত্র বীর প্রতীক ওডারল্যান্ড, আ হিরো অব ফ্রিডম।তথ্যচিত্রের উদ্বোধনী প্রদর্শনীতে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। তিনি বলেন, ‘পৃথিবীতে কিছু বিষয় আছে সর্বজনীন। দেশ, কাল অতিক্রম করে সবাই সেগুলোকে সমর্থন করেন, স্বীকার করেন। যেমন গণতন্ত্র, বাক্স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধ। যারা বিবেকবান মানুষ, তাঁরা আমাদের মুক্তিযুদ্ধকে সমর্থন করেছেন। সেই সূত্র ধরে ওডারল্যান্ড শুধু আমাদের সমর্থনই করেননি, আমাদের হয়ে যুদ্ধও করেছেন।’অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, জাতিসংঘের বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের সাবেক প্রধান এ কে আবদুল মোমেন, অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশের সাবেক হাইকমিশনার লে. জেনারেল (অব.) মাসুদউদ্দিন চৌধুরী, বিএফইউজের সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল, পিএসসির সাবেক প্রধান ইকরাম আহমেদ, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক প্রমুখ। তথ্যচিত্রটি পরিচালনা করেছেন মাহবুবুর রহমান ও প্রযোজনা করেছেন পি আর প্ল্যাসিড।
248,624
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
২৪ আগস্ট ২০১৪, ০১:৩৩
২৪ আগস্ট ২০১৪, ০১:৩৫
মৌলভীবাজার,সিলেট বিভাগ,বিশাল বাংলা
0
হোটেল শ্রমিকদের মজুরির গেজেট কার্যকর করার দাবি
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/299395
সরকার ঘোষিত নিম্নতম মজুরির গেজেট কার্যকর, শ্রম আইন বাস্তবায়ন এবং শ্রীমঙ্গলে স্থায়ী শ্রম আদালত স্থাপনের দাবি জানিয়েছেন মৌলভীবাজারের হোটেল শ্রমিকেরা। গত শুক্রবার রাতে মৌলভীবাজার জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের চৌমোহনার কার্যালয়ে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভা থেকে তাঁরা এসব দাবি জানান।মৌলভীবাজার জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের উদ্যোগে আয়োজিত এই সভায় হোটেল শ্রমিক নেতা মো. আবদুল আজিজ সভাপতিত্ব করেন। তারেশ বিশ্বাসের সঞ্চালনায় সভায় মৌলভীবাজার জেলা কমিটির সভাপতি মো. মোস্তফা কামাল, হোটেল শ্রমিক জাহাঙ্গীর হোসেন, সুমন মিয়া, কবিন মিয়া, জালাল মিয়া, মো. কামার উদ্দিন, জাহাঙ্গীর মিয়া, মো. শরীফ মিয়া প্রমুখ বক্তব্য দেন। সভায় আগামী ৫ সেপ্টেম্বর মৌলভীবাজার জেলা কর্মী সম্মেলন সফল করার লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়।সভায় বক্তারা সিলেটের কালাগুল চা-বাগানের শ্রমিকদের দৈনিক ৩০০ টাকা মজুরিসহ আট দফা দাবি বাস্তবায়ন করে অবিলম্বে বাগান চালু, বাংলাদেশ কৃষক সংগ্রাম সমিতি সিলেট জেলা কমিটির আহ্বায়ক নুরুল ইসলামকে নিঃশর্ত মুক্তি প্রদান, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ সিলেট জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক রূপক দাসসহ কালাগুল বাগানের চা শ্রমিক নেতাদের নামে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও সিলেট শহরতলির মেজরটিলায় দিনমজুর মিরাজ আলীর বাড়িতে হামলায় জড়িত ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
87,617
সুমনকুমার দাশ
bangladesh
বাংলাদেশ
২৫ মার্চ ২০১৭, ১৫:০৪
২৫ মার্চ ২০১৭, ২১:০৯
সিলেট,সিলেট বিভাগ
0
‘আমার বাইচ্চাটারে আইন্না দিলাও’
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1119430
জঙ্গি আস্তানা বলে সন্দেহে থাকা ‘আতিয়া মহলে’ আটকা মেয়ে আর জামাতা। বাইরে অজানা আশঙ্কায় বুক ধড়ফড় করছে বাবা আর মায়ের। মা সাফিয়া বেগম কাঁদছেন আর বলছেন, ‘আমার বাইচ্চাটারে আইন্না দিলাও। আমার নাতিন নওশডারে আইন্না দিলাও।’ বাবা নূর মিয়াও অস্থির, ব্যাকুল। গতকাল শুক্রবার থেকে কাটছে তাঁদের এই প্রতীক্ষার প্রহর।নূর মিয়া বলেন, তাঁর মেয়ে রুমি বেগম। জামাতা খলকু মিয়া সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক। ঘরে এক ছেলে ও এক মেয়ে। রুমির সঙ্গে রুমির ছোট বোনও রয়েছে। আতিয়া মহলে নিচতলায় একটি ফ্ল্যাট থাকে মেয়ের পরিবার। এখনো তিনি মেয়ের পরিবারের কাউকে পাননি।পুলিশের ধারণা, আতিয়া মহল নামের বাড়িটির নিচতলার একটি ফ্ল্যাটে সন্দেহভাজন জঙ্গিরা অবস্থান করছে। ভেতরে একজন নারী থাকার কথা নিশ্চিত হলেও মোট কতজন আছেন, সেটা জানা যায়নি। পুলিশের ধারণা, ভেতরে নব্য জেএমবির গুরুত্বপূর্ণ নেতা মাইনুল ওরফে মুসা রয়েছেন।আতিয়া মহল নামের পাঁচতলা ওই বাড়িতে ২৯টি ফ্ল্যাট রয়েছে।নূর মিয়া দাবি করেন, এক ঘণ্টা (বেলা সোয়া একটা) আগে মেয়ের সঙ্গে মোবাইলে কথা হয়। জানিয়েছে, তাঁরা ভালো আছেন। তবে এখনো নিজেদের ফ্ল্যাটেই আটকা আছেন।বেলা দুইটার দিকে আতিয়া মহল থেকে গোলাগুলি ও বিস্ফোরণের যখন শব্দ আসছিল, তখন চোখেমুখে অসহায়ত্ব ফুটে ওঠে নূর মিয়া ও সাফিয়া বেগমের। মেয়ের পরিবারকে নিরাপদে ফিরে পাবেন কি না, তা নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন তাঁরা।জঙ্গিরা অবস্থান করছে—এমন তথ্যের ভিত্তিতে গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে পাঁচতলা বাড়িটি ঘেরাও করে পুলিশ। গতকাল দিনভর বারবার মাইকে আহ্বান জানিয়েও ভেতরে থাকা জঙ্গিদের আত্মসমর্পণ করাতে পারেনি পুলিশ। উল্টো ভেতর থেকে গুলি ও বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যায়। অভিযান চালাতে ঢাকা থেকে পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট সোয়াটের একটি দল গতকাল বিকেলে সিলেটে পৌঁছায়। রাতভর বাড়িটি ঘিরে রাখা হয়। গতকাল সন্ধ্যার পর সেনাবাহিনীর দুটি গাড়ি ঘটনাস্থলে যায়।আজ বেলা সোয়া ১১টার দিকে দায়িত্ব পালনরত পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, সেনাবাহিনীর কমান্ডো দল আতিয়া মহল নামের ওই বাড়ির বাসিন্দাদের বের করে আনছে। আতিয়া মহল ও তার পাশের আতিয়া মহল ২ নামের আরেকটি ভবনের মাঝখানে ফায়ার সার্ভিসের মই দিয়ে সেতু তৈরি করা হয়েছে। এই পথে সেনাবাহিনীর সহায়তায় বাসিন্দাদের বের করা হচ্ছে। এ সময় ফায়ার সার্ভিসকে বিভিন্ন সরঞ্জাম নিয়ে বাড়ির ভেতরে ঢুকতে দেখা গেছে।
306,201
-1
opinion
মতামত
১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫, ০০:০৬
১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫, ০০:০৬
সম্পাদকীয়:,মতামত
null
বিদেশি জনশক্তির পেছনে ব্যয়
http://www.prothom-alo.com/opinion/article/632632
বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত বিদেশিদের বেতন-ভাতা বাবদ প্রতিবছর ৩২ হাজার কোটি টাকা দেশের বাইরে চলে যাচ্ছে। দেশের শিল্প ও ব্যবসা বিকাশে বিদেশ থেকে দক্ষতা ও জ্ঞান আনায় কোনো দোষ নেই। কিন্তু দেখতে হবে, সেটা যেন স্থায়ী পরনির্ভরতা হয়ে না দাঁড়ায়। তার জন্যই দেশের ভেতর থেকেই প্রয়োজনীয় কর্মী ও বিশেষজ্ঞ তৈরিতে রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগ ও আনুকূল্য প্রয়োজন।পত্রিকায় প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ থেকে যে পরিমাণ অর্থ বিদেশিদের বেতন হিসেবে চলে যাচ্ছে, তা আমাদের জাতীয় বাজেটের ১০ শতাংশের ওপরে । এটি বাংলাদেশের নিজস্ব প্রবাসী–আয়ের প্রায় ৩৫ শতাংশ। এই বিপুল পরিমাণ অর্থ দেশের ভেতর রাখা গেলে এবং তা জাতীয় সম্পদ বৃদ্ধিতেও যেমন অবদান রাখত, তেমনি জাতীয় সক্ষমতারও বিকাশ ঘটত। কষ্টার্জিত বৈদেশিক মুদ্রাও দেশে থাকত। কিন্তু উচ্চ প্রশিক্ষিত পেশাজীবী ও বিশেষজ্ঞ সৃষ্টির দিকে আমাদের সরকারগুলোর মনোযোগ কম বলেই ধারণা করি। শিক্ষার মানের অবনতি, শিক্ষাব্যয় বৃদ্ধি এবং বিশেষজ্ঞ সৃষ্টির প্রতিষ্ঠানের অভাবের জন্য আমরা পিছিয়েই থাকছি।মালয়েশিয়ায় জনশক্তি রপ্তানি করা হবে সরকারিভাবেইসম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয় এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক ও সুইস ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের ঋণে দক্ষ শ্রমশক্তি বিকাশের প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে আগামী পাঁচ বছরে ১৫ লাখ দক্ষ শ্রমশক্তি তৈরি হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। আগে জানতে হবে জনশক্তির ক্ষেত্রে আমাদের কোথায় কোথায় ঘাটতি আছে। এরপর সেই ঘাটতি পূরণে সুষ্ঠু কর্মপরিকল্পনা নেওয়া এবং তার যথাযথ বাস্তবায়নের মাধ্যমেই জনশক্তিতে পরনির্ভরশীলতা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব।বিলম্বে হলেও দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলার এই উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানাই। তবে বিষয়টি সময়সাপেক্ষ। আর দক্ষ জনশক্তি গড়ার জন্য যে প্রতিষ্ঠানগুলো তৈরি করা হবে, সেগুলোর সক্ষমতার ওপরই এই প্রকল্পের সাফল্য নির্ভর করছে। কেবল সাধারণ পেশাজীবী নয়, বিশেষজ্ঞ তৈরির উপযুক্ত প্রতিষ্ঠান ও প্রশিক্ষণের ওপর জোর দিতে হবে।
169,465
কুষ্টিয়া অফিস
bangladesh
বাংলাদেশ
০৯ ডিসেম্বর ২০১৫, ০৯:৫৯
০৯ ডিসেম্বর ২০১৫, ১০:৪৩
খুলনা বিভাগ,কুষ্টিয়া
0
খুলনার সঙ্গে রেলযোগাযোগ স্বাভাবিক
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/707278
খুলনার সঙ্গে সারা দেশের রেলযোগাযোগ স্বাভাবিক হয়েছে। আজ বুধবার সকালে পোড়াদহ জংশনের স্টেশনমাস্টার শরিফুল ইসলাম প্রথম আলোকে এ কথা জানান।ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত হওয়ায় খুলনার সঙ্গে সারা দেশের রেলযোগাযোগ কয়েক ঘণ্টা বন্ধ ছিল। উদ্ধারকাজ শেষে গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত পৌনে ১২টার পর ওই রুটে ফের ট্রেন-চলাচল শুরু হয়।গতকাল সন্ধ্যা সাতটার দিকে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার পোড়াদহ জংশনে খুলনা থেকে ছেড়ে আসা রাজশাহীগামী মহানন্দা ট্রেনের দুটি বগি লাইনচ্যুত হয়।স্টেশনমাস্টার শরিফুল ইসলাম বলেন, বগি লাইনচ্যুত হওয়ার খবর পেয়ে পাকশি থেকে রাত সাড়ে ১১টার দিকে উদ্ধারকারী ট্রেন পোড়াদহে পৌঁছে। শুরু হয় উদ্ধারকাজ। লাইনচ্যুত বগি দুটোকে রাত পৌনে ১২টার দিকে রেললাইন থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়। এরপর ট্রেন-চলাচল শুরু হয়।
181,681
যশোর অফিস
bangladesh
বাংলাদেশ
০৯ জানুয়ারি ২০১৭, ০০:২৮
০৯ জানুয়ারি ২০১৭, ০০:৩০
যশোর,খুলনা বিভাগ,বিশাল বাংলা
0
পছন্দের প্রার্থীকে মনোনয়ন না দেওয়ায় নিয়োগ স্থগিত!
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1055487
যশোর সদর উপজেলার পুলেরহাট বালিকা বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। গতকাল রোববার এ পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। অভিযোগ উঠেছে, ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতির পছন্দের প্রার্থীকে মনোনীত না করায় এ ঘটনা ঘটে।নাম প্রকাশ না করার শর্তে নিয়োগ বোর্ডের একজন সদস্য বলেন, পুলেরহাট বালিকা বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য এক প্রার্থীর কাছ থেকে বিদ্যালয়ের সভাপতি খায়রুজ্জামান ১৬ লাখ টাকা নিয়েছেন। এ জন্য তিনি নিয়োগ বোর্ডকে চাপ দিতে থাকেন। নিয়োগ বোর্ডের দুজন সরকারি প্রতিনিধি সভাপতির কথা মানেননি।নিয়োগ বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রোববার দুপুরে যশোর সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ে এ নিয়োগ পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। ১৫ জন প্রার্থীর মধ্যে ৫ জন উপস্থিত হন। এ সময় নিয়োগ বোর্ডের সদস্য জিল্লুর রশিদ বলেন, পরীক্ষার প্রশ্নপত্র তৈরি, পরীক্ষা নেওয়া ও খাতা দেখায় স্বচ্ছতা থাকতে হবে। কিন্তু এ সময় নিয়োগ বোর্ডের সভাপতি খায়রুজ্জামান নিয়োগ বোর্ডকে বলেন, তাঁর পছন্দের প্রার্থীকে নিয়োগ দিতে হবে। পাঁচ সদস্যের নিয়োগ বোর্ড এ প্রশ্নে একমত হতে পারেনি। তখন সভাপতি নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত করে দেন।যশোর সদর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা জিল্লুর রশিদ বলেন, ‘বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি খায়রুজ্জামানের পছন্দের প্রার্থীকে নিয়োগ দেওয়ার জন্য মনোনীত না করায় তিনি নিয়োগ বোর্ড স্থগিত করে দিয়েছেন।’অভিযোগ অস্বীকার করে নিয়োগ বোর্ডের সভাপতি ও বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি খায়রুজ্জামান বলেন, নিয়োগ বোর্ডের প্রতিনিধিরা ঠিক বলেননি। একই দিনে অন্য উপজেলার আরও দুটি নিয়োগ পরীক্ষা ছিল বলে পরীক্ষা নেওয়ার সময় পাওয়া যায়নি। যে কারণে নিয়োগ বোর্ড স্থগিত করা হয়েছে।
281,742
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
bangladesh
বাংলাদেশ
০১ জানুয়ারি ২০১৪, ০২:৪২
০১ জানুয়ারি ২০১৪, ০২:৪৩
চট্টগ্রাম,চট্টগ্রাম বিভাগ,অপরাধ,বিশাল বাংলা
0
গাঁজা বিক্রি ও সেবনের দায়ে আটজনের দণ্ড
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/112891
গাঁজা বিক্রি ও সেবনের দায়ে এক নারীসহ আটজনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারা ও অর্থদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।গতকাল মঙ্গলবার চট্টগ্রাম নগরের বহদ্দারহাট বাসস্ট্যান্ড, পুরাতন রেলস্টেশন ও ঘাটফরহাদবেগ এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে এই দণ্ড দেওয়া হয়। এ সময় তিন কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়।মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের এই অভিযানে নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাহদাৎ হোসেন। পুলিশের সহযোগিতায় এ অভিযানে অধিদপ্তরের পরিদর্শক তপন কান্তি শর্মা উপস্থিত ছিলেন।ছয় মাসের সশ্রম দণ্ডপ্রাপ্ত চার গাঁজা বিক্রেতা হলেন মিনু বেগম (৫০), মো. তাজুল ইসলাম (৫৫), মো. মঈন (২৫) ও সোলায়মান (৩৮)। এ ছাড়া মাদক সেবনের দায়ে রফিক (২৮) ও ইউসুফকে (৩৮) তিন মাস করে সশ্রম কারাদণ্ড অনাদায়ে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা এবং শরিফ (৩৪) ও ইলিয়াসকে (৩০) পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।পরিদর্শক তপন কান্তি শর্মা বলেন, অভিযানের সময় মোট তিন কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়।
40,202
নিজস্ব প্রতিবেদক
bangladesh
বাংলাদেশ
২২ জুন ২০১৭, ২১:৫৬
২২ জুন ২০১৭, ২২:০৩
সরকার
0
দায়িত্ব বুঝে নিলেন রাজউকের নতুন চেয়ারম্যান
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1227591
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পাওয়া আবদুর রহমান তাঁর দায়িত্ব বুঝে নিয়েছেন। তিনি এত দিন সংস্থাটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। আজ বৃহস্পতিবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা এক নিয়োগ আদেশে আবদুর রহমান তাঁর নতুন দায়িত্বে এম বজলুল করিম চৌধুরীর স্থলাভিষিক্ত হন। বিকেল নাগাদ তিনি তাঁর দায়িত্ব বুঝে নেন। আজ সন্ধ্যায় এ বিষয়ে অতিরিক্ত সচিব পদমর্যাদার এই কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, ‘চেয়ারম্যান হিসেবে আমার প্রথম কাজ হবে রাজউককে একটা সম্মানজনক জায়গায় নিয়ে আসার জন্য সব ধরনের তৎপরতা অব্যাহত রাখা। নির্ধারিত সময় পার হওয়ার পরেও পূর্বাচল ও উত্তরা তৃতীয় পর্বসহ রাজউকের যে প্রকল্পগুলো অসমাপ্ত আছে, সেগুলো দ্রুততম সময়ের মধ্যে শেষ করা।’ সড়ক ও জনপথ ক্যাডারের কর্মকর্তা আবদুর রহমান নির্বাহী প্রকৌশলী থাকা অবস্থায় ২০০৬ সালের শেষ দিকে উপসচিব হিসেবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে যোগ দেন। এরপর জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের পরিচালক, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ও বেপজার সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন তিনি। বেপজা থেকে ২০১৫ সালে তিনি রাজউকে যোগ দেন।
322,272
ক্রীড়া প্রতিবেদক
sports
খেলা
০৩ জানুয়ারি ২০১৬, ০২:৩১
০৩ জানুয়ারি ২০১৬, ০২:৩২
খেলা,দেশের ফুটবল
null
সাফের সঙ্গে ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপও!
http://www.prothom-alo.com/sports/article/729739
মাঠের ফল যেমনই হোক, টুর্নামেন্ট আয়োজনে বাফুফের আগ্রহের কমতি নেই। এই অঞ্চলের অন্য দেশগুলোর চেয়ে বরং তা বেশিই। ২০১৫ সালে সাফ ও এএফসির পাঁচটি টুর্নামেন্টের আয়োজন সেই সাক্ষ্যই দিচ্ছে—এএফসি অনূর্ধ্ব-২৩, সাফ অনূর্ধ্ব-১৬, এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ ও ১৯ এবং মেয়েদের এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬। বঙ্গবন্ধু কাপ ও চট্টগ্রাম আবাহনীর উদ্যোগে চট্টগ্রামে শেখ কামাল টুর্নামেন্ট তো আছেই। সব মিলিয়ে ছোট-বড় সাতটি আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট হয়েছে বিদায়ী বছরে।সামনে আরও আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট অপেক্ষা করছে। চার দিন পরই যশোরে পর্দা উঠবে বঙ্গবন্ধু কাপের। সেই ব্যস্ততার ফাঁকেই কাল জানা গেল, সম্ভবত আরও দুটি টুর্নামেন্টের স্বাগতিক হচ্ছে বাংলাদেশ। কেরালায় সাফের নির্বাহী কমিটির সভায় আগামী সাফের আয়োজনভার তো দেওয়া হয়েছেই, প্রথম সাফ ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপ আয়োজনের প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশকে। রীতি অনুযায়ী পরবর্তী সাফ ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর শীর্ষ ক্লাবগুলোকে নিয়ে ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপ হবে এ বছরের ডিসেম্বরে। সাফ সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন অনেক দিন ধরেই ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপ আয়োজনের কথা বলে আসছিলেন। কিন্তু স্পনসরের অভাবে টুর্নামেন্টটা আলোর মুখ দেখতে পারছিল না। অবশেষে স্পনসর পাওয়ায় বাধা দূর হলো। সাফ টুর্নামেন্টের স্পনসর ওয়ার্ল্ড স্পোর্টস গ্রুপ ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপের পৃষ্ঠপোষক।সাফের এ সভায় বাফুফের কোনো প্রতিনিধি ছিল না। তবু টুর্নামেন্ট দুটি পেতে সমস্যা হয়নি। ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপটা তো সেধেই বাংলাদেশকে দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের আগ্রহ এবং এখানকার ‘ফুটবলের বাজার’ নাকি বিবেচনায় এসেছে বেশি। সাফ তো চাওয়া মাত্রই মিলে গেছে।সাফ টুর্নামেন্ট আয়োজনে বাফুফের আগ্রহের ব্যাপারটা কালকের সভায় তুলে ধরেন সাফের সাধারণ সম্পাদক বাফুফের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হক হেলাল। তিনিই জানিয়েছেন, ‘ভুটান পরবর্তী সাফ আয়োজনে প্রথমবারের মতো ইচ্ছা প্রকাশ করলেও শেষ পর্যন্ত সেই অবস্থানে আর থাকেনি। বাংলাদেশ ও মালদ্বীপ প্রার্থিতা জানিয়েছিল। সভায় অন্যদের মতামত ও স্পনসরের আগ্রহের ভিত্তিতে বাংলাদেশকেই পরবর্তী সাফ দেওয়া হয়েছে।’২০০৮ সালে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে যৌথভাবে সাফ আয়োজন করেছিল মালদ্বীপ। ঘরের মাঠে চ্যাম্পিয়ন হয়ে আয়োজনটা স্মরণীয় করে রেখেছিল দ্বীপদেশটি। কিন্তু এককভাবে সাফ করার মতো প্রয়োজনীয় অবকাঠামো মালেতে নেই। তা ছাড়া জায়গাটা ব্যয়বহুলও। এসব বিবেচনায় মালদ্বীপ ২০১৭ সাফ পায়নি।বাংলাদেশ আবার এসব দিক থেকে বেশ এগিয়ে। বাফুফে প্রথম সাফ আয়োজন করেছিল ২০০৩ সালে। সেবার চ্যাম্পিয়নও হয়ে আয়োজনটাকে মনে গেঁথে রেখেছে বাংলাদেশ। ২০০৫ ও ২০০৮ টুর্নামেন্টের পর ২০০৯ সালে ঢাকায় আবার হয়েছিল সাফ। ২০১১, ২০১৩ ও ২০১৫ তিনটি টুর্নামেন্ট শেষে দুই বছর পর সাফ আবার ফিরছে বাংলাদেশে।ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপটা বাংলাদেশ চায়নি, কিন্তু স্পনসর জানে বাংলাদেশ এটা করতে পারবে। বিনিয়োগটা এখানে উঠে আসবে বলেই তাদের ধারণা এবং সে জন্যই বাংলাদেশের নাম প্রস্তাব। বাংলাদেশ কি রাজি?সালাউদ্দিনের কথা শুনে মনে হলো বাংলাদেশ খুব আগ্রহ নিয়েই ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপটা করবে, ‘নীতিগতভাবে আমরা এটা করতে রাজি। আমি ভাবিনি যে স্পনসর এটা আমাদের দিয়ে দেবে। তবে সাফের সভাপতি হিসেবে বাইরের ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপের মতো সাফেও ক্লাব প্রতিযোগিতা আয়োজনের স্বপ্নটা ছিল আমারই। এখন আমরা ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বাফুফের সভায় সিদ্ধান্ত নেব।’
188,875