author
stringlengths
2
242
category
stringclasses
9 values
category_bn
stringclasses
16 values
published_date
stringlengths
2
68
modification_date
stringlengths
2
68
tag
stringlengths
0
137
comment_count
float64
0
0
title
stringlengths
1
215
url
stringlengths
47
56
content
stringlengths
0
57.9k
__index_level_0__
int64
0
408k
গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ০১:৫৩
২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ০১:৫৫
গোয়ালন্দ,রাজবাড়ী,ঢাকা বিভাগ,বিশাল বাংলা
0
সাইকেলে কলকাতা থেকে বাংলাদেশে
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1084883
ভারতের কলকাতার সংগঠন ‘১০০ মাইলস’-এর একটি দল আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে সাইকেল চালিয়ে বাংলাদেশে এসেছে। ১৬ সদস্যের দলটি গতকাল রোববার রাজবাড়ীর দৌলতদিয়ায় এলে স্থানীয় লোকজন তাদের স্বাগত জানান।সংগঠনের মূল উদ্যোক্তা ও দলনেতা সুরজিত রায় গতকাল বেলা সাড়ে ১১টায় দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে বলেন, ১৯৫২ সালের মাতৃভাষা বাংলা করার দাবিতে প্রাণ দেওয়া সালাম, বরকত, রফিক, জব্বারদের তিনি সম্মানভরে স্মরণ করছেন। ভাষাশহীদদের স্মরণে তাঁদের দলটি একুশে ফেব্রুয়ারি ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল দিতে চায়।‘চলো বাংলাদেশ’ শিরোনামে ২০১২ সাল থেকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ১০০ মাইলসের সদস্যরা সাইকেলে করে কলকাতা থেকে বাংলাদেশে আসছেন। এবার ১৫ ফেব্রুয়ারি তাঁরা কলকাতা থেকে রওনা দেন। ১৬ তারিখ তাঁরা বেনাপোল দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন। তাঁদের অভিযানের স্লোগান হলো, ‘বাংলা কখনো হয় না ভাগ, বাংলা ভাষায় আমরা এক’।এবার এই দলে যোগ দিয়েছে ১২ বছরের স্কুলছাত্র দীপ কুমার দত্ত। দীপ বলে, সে তার বাবা-মা এবং বড়দের কাছ থেকে শুনেছে, বাংলা ভাষার জন্য বাংলাদেশের মানুষ প্রাণ দিয়েছে। তার অনেক আগে থেকেই বাংলাদেশে আসার ইচ্ছা ছিল। তাদের দলে ১০০ মাইলস সংগঠনের অন্য সদস্যদের পাশাপাশি তার বাবাও আছেন।সংগঠনের সদস্যরা আরও বলেন, রোববার মানিকগঞ্জে থেকে আজ সোমবার তাঁরা ঢাকার দিকে রওনা দেবেন। একুশে ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে ওই দিনই কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেবেন।
295,371
কাজী এস হোসেন
life-style
জীবনযাপন
২৬ মার্চ ২০১৭, ০২:০৬
২৬ মার্চ ২০১৭, ০২:০৭
আপনার রাশিফল,কাজী এস হোসেন,রাশিফল,মতামত
0
আপনার রাশিফল
http://www.prothom-alo.com/life-style/article/1119955
আজ ২৬ মার্চ। আজকের তারিখে জন্মগ্রহণ করায় পাশ্চাত্যমতে আপনি মেষ রাশির জাতক বা জাতিকা। আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ সংখ্যা ৮ ও ৯। গুরুত্বপূর্ণ দিন শনি ও মঙ্গলবার। শুভ রং—নীল, ধূসর, মেরুন। শুভ রত্ন—রক্তপ্রবাল, শ্বেত পোখরাজ। বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব—সাহিত্যিক সৈয়দ আলী আহসান, কবি রবার্ট ফ্রস্ট, মাকিদ হায়দার। এবার চলুন, জেনে নেওয়া যাক আপনার রাশিতে আজকের পূর্বাভাস:মেষ (২১ মার্চ-২০ এপ্রিল)ব্যবসায়িক লেনদেন শুভ। আপনি একজন সংগীতশিল্পী হয়ে থাকলে আজ এ ক্ষেত্রে সম্মাননা পেতে পারেন। পারিবারিক দ্বন্দ্বের অবসান হতে পারে। রাজনৈতিক তৎপরতা শুভ। প্রেমের ব্যাপারে ইতিবাচক সতর্ক থাকুন।বৃষ (২১ এপ্রিল-২১ মে)বেকারদের কারও কারও জন্য দিনটি সাফল্যের বার্তা বয়ে আনতে পারে। পারিবারিক দ্বন্দ্বের অবসানে আপনার উদ্যোগ ফলপ্রসূ হতে পারে। প্রেমিক-প্রেমিকার জন্য দিনটি শুভ। যাত্রাপথে সতর্ক থাকুন।মিথুন (২২ মে-২১ জুন)বেকারদের কারও কারও বিদেশযাত্রার প্রচেষ্টা সফল হতে পারে। প্রেমের ঝোড়ো হাওয়া আজ কারও কারও মনকে নাড়া দিতে পারে। যেকোনো চুক্তি সম্পাদনের জন্য দিনটি শুভ। রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে দূরে থাকুন।কর্কট (২২ জুন-২২ জুলাই)ব্যবসায়ে আগের ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার সুযোগ পাবেন। বিদেশযাত্রার ক্ষেত্রে হাতছাড়া হয়ে যাওয়া সুযোগ ফিরে আসতে পারে। প্রেমের ব্যাপারে ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিন। দূরের যাত্রায় সতর্ক থাকুন।সিংহ (২৩ জুলাই-২৩ আগস্ট)কর্মস্থলে আগের জমে থাকা কাজগুলো আজ সুষ্ঠুভাবে সম্পাদিত হতে পারে। মামলা-মোকদ্দমায় জড়ানো উচিত হবে না। পাওনা আদায়ে প্রভাবশালী কারও সহায়তা পেতে পারেন। দূরের যাত্রা শুভ।কন্যা (২৪ আগস্ট-২৩ সেপ্টেম্বর)বেকারদের কারও কারও জন্য দিনটি সাফল্যের বার্তা বয়ে আনতে পারে। প্রেমিক-প্রেমিকার মনের আকাশে জমে থাকা কালো মেঘ আজ দূর হতে পারে। দূরের যাত্রা শুভ। রাজনীতিতে আপনার গুরুত্ব বৃদ্ধি পেতে পারে।তুলা (২৪ সেপ্টেম্বর-২৩ অক্টোবর)ব্যবসায়িক ভ্রমণ ফলপ্রসূ হতে পারে। মামলা-মোকদ্দমার রায় আপনার পক্ষে যেতে পারে। কোনো গোপন শত্রুর পরিচয় জানা যেতে পারে। প্রেমে সাফল্যের সম্ভাবনা আছে। রাজনৈতিক তৎপরতা শুভ।বৃশ্চিক (২৪ অক্টোবর-২২ নভেম্বর)ব্যবসায়িক লেনদেনে আপনার স্বার্থ অক্ষুণ্ন² থাকতে পারে। যৌথ বিনিয়োগ শুভ। আজ কারও প্রেমের আহ্বানে সাড়া দিতে হতে পারে। রাজনীতিতে আপনার অবস্থান সুসংহত হতে পারে। তীর্থভ্রমণ শুভ।ধনু (২৩ নভেম্বর-২১ ডিসেম্বর)ব্যবসায়িক লেনদেনে লাভবান হতে পারেন। পাওনা আদায়ে কুশলী হোন। চাকরিতে কারও কারও পদোন্নতির সম্ভাবনা আছে। প্রেমের ঝোড়ো হাওয়া আজ কারও কারও মনকে নাড়া দিতে পারে। তীর্থভ্রমণ শুভ।মকর (২২ ডিসেম্বর-২০ জানুয়ারি)চাকরির জন্য বিদেশে আবেদন করে কেউ কেউ ইতিবাচক সাড়া পেতে পারেন। মামলা-মোকদ্দমার রায় আপনার অনুকূলে যেতে পারে। প্রেমের ব্যাপারে ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিন। দূরের যাত্রা শুভ।কুম্ভ (২১ জানুয়ারি-১৮ ফেব্রুয়ারি)ব্যবসায়িক যোগাযোগ শুভ। মামলা-মোকদ্দমায় জড়ানো উচিত হবে না। আজ কারও কারও মনে প্রেমের ছোঁয়া লাগতে পারে। আপনি একজন সংগীতশিল্পী হয়ে থাকলে আজ এ ক্ষেত্রে সম্মাননা পেতে পারেন।মীন (১৯ ফেব্রুয়ারি-২০ মার্চ)বিদেশযাত্রায় প্রবাসী আত্মীয়ের সহায়তা পেতে পারেন। আপনি একজন অভিনয়শিল্পী হয়ে থাকলে আজ এ ক্ষেত্রে সম্মাননা পেতে পারেন। প্রেমিক-প্রেমিকার জন্য দিনটি শুভ। রাজনীতিতে থেকে দূরে থাকুন।
306,657
সুহাদা আফরিন
bangladesh
বাংলাদেশ
১৯ জুলাই ২০১৬, ০১:৫৫
১৯ জুলাই ২০১৬, ০১:৫৫
রাজধানী
0
বিড়ালেরও আবাস পঙ্গু হাসপাতাল
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/918829
জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানের (পঙ্গু হাসপাতাল) অবস্থা দেখে মনে হয় এটি এখন বিড়ালেরও আবাস। ওয়ার্ডগুলোতে স্বাচ্ছন্দ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে বিড়ালের দল। সঙ্গে তেলাপোকার উপদ্রবও রয়েছে। মেঝেতে ছত্রখান হয়ে আছে নানা ধরনের ময়লা আবর্জনা।গত রোববার দুপুরে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিটি তলাতেই একাধিক বিড়াল ঘুরছে। নিচতলায় মা ও বাচ্চা বিড়ালের দেখা মিলল। সালমা ইয়াসমিন তাঁর স্বামীকে নিয়ে চার দিন ধরে ভর্তি আছেন। তিনি বলেন, ‘বিড়ালের জন্য কিচ্ছু রাখা যায় না। খালি ঘুরঘুর করে। আর তেলাপোকাও জ্বালায়।’বিড়ালগুলো বেশ হৃষ্টপুষ্ট। এখানেই তারা থাকে। স্বাচ্ছন্দ্যে হাসপাতালজুড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। মেঝেতে বসে খাচ্ছিলেন আবদুস সোবহান। তাঁর পাশ দিয়ে একটি বিড়ালের বাচ্চা ঘুরছে। তিনি বলেন, এগুলোকে পাশে নিয়েই তাঁরা চিকিৎসা নিচ্ছেন। বিড়ালগুলো কারও পালিত কি না, জানতে চাইলে কয়েকজন বলেন, এগুলো পালিত নয়। নিজেদের মতো থাকে। বিড়ালের উপদ্রবের অভিযোগ করেও লাভ হয়নি।বিছানার পাশের দেয়ালগুলোতে তেলাপোকা বেয়ে বেড়াচ্ছে। ফরিদা ইয়াসমিনের ছেলের চার মাস ধরে পা ভাঙা। মাঝে বাড়ি গিয়েছিলেন। এখন আবার ভর্তি আছেন সাত দিন ধরে। তিনি বলেন, ‘এমন তো সব সময়ই থাকে। বিছানাও নিজেরা পরিষ্কার করি।’জরুরি বিভাগের নিচতলার মেঝেতে কাগজ, তুলা, ব্যান্ডেজ, ওষুধের প্যাকেট ছড়ানো অবস্থায় পড়ে আছে। আর শৌচাগারের সামনে দিয়ে সবাইকেই নাকে কাপড় দিয়ে চলতে হচ্ছে।মো. আরমান তিন দিন ধরে ভাইকে নিয়ে ভর্তি আছেন। তিনি বলেন, ‘বাথরুমের সামনে গিয়া একটু দাঁড়ান, টিকতে পারবেন না।’ রোগী ও তাঁর স্বজনেরা বলেন, সকালে চিকিৎসক আসার আগে পরিষ্কার করে এবং বিকেলে শুধু ঝাড়ু দেওয়া হয়।নাম প্রকাশ না করার শর্তে তৃতীয় তলার এক রোগী বলেন, ‘ময়লা আবর্জনার কথা বলা হলেও ওয়ার্ডের দায়িত্বে যাঁরা থাকেন তারা বললেও শোনেন না।’জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানের উপপরিচালক এ কে এম জহির উদ্দিনের কাছে বিড়ালের উপদ্রব সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ওয়ার্ড মাস্টারকে বলে দিচ্ছি এখনই ব্যবস্থা নিতে।’ তবে ময়লা আবর্জনার বিষয়ে তিনি বললেন, নির্মাণকাজ চলায় ধুলা-ময়লা থাকতে পারে।জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক বেনজীর আহমেদ বলেন, বিড়ালে সংক্রমণ ঝুঁকি রয়েছে। হাসপাতালের বিড়াল ডাস্টবিনে ঘোরে। সেখান থেকে জীবাণু নিয়ে বিছানায় উঠে বা খাবারে মুখ দিয়ে জীবাণু ছড়াতে পারে। এ ছাড়া বিড়ালের আঁচড় থেকেও ভাইরাল রোগ হতে পারে। হাসপাতালকে কর্তৃপক্ষের বিড়ালমুক্ত করা উচিত। অনেকেই বিড়াল পুষতে চায়। কর্তৃপক্ষ ঘোষণা বা বিজ্ঞাপন দিয়ে এই বিড়ালগুলো তাদের দিয়ে দিতে পারে।
241,357
অনলাইন ডেস্ক
entertainment
বিনোদন
২৮ জানুয়ারি ২০১৪, ১২:৪৯
২৮ জানুয়ারি ২০১৪, ১২:৫১
বলিউড
0
ভাড়া বাকি পড়ায় মামলায় অর্জুন রামপাল
http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/133906
হূতিক রোশন ও সুজন রোশনের বিচ্ছেদের নেপথ্যে সম্পৃক্ততার খবর রটার পর সম্প্রতি আবারও নেতিবাচক খবরের শিরোনাম হয়েছেন বলিউডের অভিনেতা অর্জুন রামপাল। তাঁর নিজস্ব পানশালা ও নৈশক্লাবের বিশাল অঙ্কের ভাড়া বাকি পড়ায় অর্জুনের বিরুদ্ধে মামলা ঠুকে দিয়েছে ভারতের পর্যটন মন্ত্রণালয়ের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান ইন্ডিয়া ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট করপোরেশন লিমিটেড। রাজধানী দিল্লিতে প্রতিষ্ঠানটির পাঁচ তারকা হোটেল সম্রাটে ২০০৯ সাল থেকে ল্যাপ নামের বিলাসবহুল পানশালা ও নৈশক্লাব চালাচ্ছেন অর্জুন রামপাল।এ বিষয়ে জানতে চাইলে অর্জুন তাঁর আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলতে বলেন। পরে তাঁর আইনজীবী আতিভ মাথুরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন তিনি। সম্প্রতি এক খবরে এ তথ্য জানিয়েছে ইন্ডিয়া টুডে।এ প্রসঙ্গে অর্জুনের আইনজীবী আতিভ মাথুর বলেন, ‘আমাদের ধারণা, হিসাবের কোনো একটা গরমিল হয়েছে। আমাদের আইনি নোটিশ পাঠিয়েছে আইটিডিসি (ইন্ডিয়া ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট করপোরেশন লিমিটেড)। বিষয়টি নিয়ে প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে আমাদের আলাপ-আলোচনা চলছে। আশা করছি, শিগগিরই একটি মীমাংসায় পৌঁছানো সম্ভব হবে।’এদিকে আইটিডিসির একটি সূত্র জানিয়েছে, ল্যাপ নামের এ পানশালা ও নৈশক্লাবের ভাড়া প্রতি মাসে ২৫ লাখ রুপি। বিদ্যুত্, পানি ও গ্যাস বিলও পরিশোধ করতে হয় অর্জুনকে। ২০১২ সালের অক্টোবর মাস থেকে ভাড়া দিচ্ছেন না তিনি। তাঁর বকেয়া ভাড়ার পরিমাণ সাড়ে চার কোটি রুপি ছাড়িয়ে গিয়েছিল। তবে সম্প্রতি আড়াই কোটি রুপি পরিশোধ করেছেন তিনি। তার পরও দুই কোটি রুপি ভাড়া বকেয়া রয়ে গেছে।সূত্রটি আরও জানিয়েছে, পুরো বকেয়া পরিশোধ না করায় ল্যাপ পানশালা বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে অর্জুনকে সতর্ক করা হয়েছিল। সম্রাট হোটেলে ল্যাপের জন্য বরাদ্দকৃত জায়গাটুকু ফাঁকা করে দিতেও বলা হয়। কিন্তু অর্জুন কোনো উদ্যোগ না নেওয়ায় শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়েই আইনের আশ্রয় নিতে হয়েছে। আইনি নোটিশ পাঠানোর আগে বারবার অর্জুনকে ভাড়া পরিশোধ করতে বলা হলেও তিনি তা করেননি। এদিকে ল্যাপের সঙ্গে লিজের চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়েছে গত বছরের অক্টোবরে। চুক্তি নবায়নের জন্য আবেদনও করেছেন অর্জুন। কিন্তু বকেয়া ভাড়া পরিশোধের পরই কেবল তাঁর সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করা হবে। তবে আইনগত প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত ল্যাপ চালাতে পারবেন অর্জুন।এদিকে এক টুইটার বার্তায় অর্জুন লিখেছেন, ‘তার মানে এখন আমি দেউলিয়া! অন্তত বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে আমার বর্তমান অবস্থা এমনই। বন্ধুরা, আপনারা সবাই চেক ভাঙিয়ে ক্যাশ রেডি রাখুন। ... উদ্ভট।’
46,944
এস এম আলাউদ্দিন আল আজাদ
technology
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
২১ জানুয়ারি ২০১৯, ১১:২৩
২১ জানুয়ারি ২০১৯, ১১:৩২
স্মার্ট সময়,টেলিভিশন,জেনে নিন,খবরাখবর
null
এই সময়ের স্মার্ট টিভি
http://www.prothom-alo.com/technology/article/1575463
টিভি এখন আর টেলিভিশন কেন্দ্র থেকে সম্প্রচারিত অনুষ্ঠান দেখার যন্ত্র নয়। ইন্টারনেটে যুক্ত হয়ে ইউটিউব, ফেসবুক, নেটফ্লিক্স—ইচ্ছেমতো দেখার সুবিধা দেয় আজকালকার টিভিগুলো। এসব টিভি পরিচিত স্মার্ট টিভি নামে। স্মার্ট টিভি নিয়ে এবারের বিশেষ আয়োজন।‘স্মার্ট’ এখন আলোচিত শব্দগুলোর মধ্যে অন্যতম। চটপটে বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসমৃদ্ধ যন্ত্রগুলোকে স্মার্ট ডিভাইস বলা হয়। বোতাম টিপে দূরালাপনীর যন্ত্রটিও এখন স্মার্ট। বদলে গেছে বাসার টেলিভিশনও। টিভি এখন শুধু টেলিভিশন কেন্দ্র থেকে সম্প্রচারিত অনুষ্ঠান দেখার উপলক্ষ নয়। ইন্টারনেটের যুগে ই–মেইল চেক করা, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঢুঁ মারা, দেশের হালচাল জানা, সংবাদ পড়াসহ সব কাজের জন্য এখন এই একটি বাক্সই যথেষ্ট। যেসব টিভি ওয়াই–ফাই নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ইন্টারনেটে যুক্ত করা যায়, সেসবই স্মার্ট টিভি।সাধারণত বিশ্বকাপ ফুটবলের বছরগুলোতে টিভি উৎপাদনকারীরা টিভিতে নতুনত্ব নিয়ে আসে। ২০১৮ সালে প্রায় সব টিভি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান নতুন নতুন স্মার্ট টিভি নিয়ে এসেছে। আর সেগুলো দেশের বাজারেও আসে। আবার দেশি নির্মাতারাও নতুন স্মার্ট টিভি বাজারে ছেড়েছেন নিয়মিতই। এই সময়ে বাজারে যেসব স্মার্ট টিভি আছে, সেগুলোর বিস্তারিত জানা যাক এই প্রতিবেদন।সনি২০১৮ সালের শেষের দিকে দেশের বাজারে সনির বেশ কিছু নতুন মডেলের টিভি নিয়ে আসে র‌্যাংগস। ৩২ থেকে শুরু করে ৮৫ ইঞ্চি পর্যন্ত স্মার্ট অ্যান্ড্রয়েড টিভিগুলো দেশের বাজারে পাওয়া যায়। বেশ কয়েকটি সিরিজে সনির স্মার্ট টিভি বিক্রি হয়। এই সিরিজগুলোর মধ্যে গেমিংয়ের জন্য এক্স সিরিজ এবং এ সিরিজের অর্গানিক লাইট ইমিটিং ডায়োড (ওএলইডি) বেশ আকর্ষণীয়। পৃথিবীর সেরা ১০টি টিভির মধ্যে ৫৫ ইঞ্চি ডিসপ্লের সনি গেমিং সিরিজ এক্স৯০০০ই টিভি একটি। দেশের বাজারে এই টিভির দাম ৩ লাখ ৭২ হাজার ৯০০ টাকা।ওএলইডি ডিসপ্লের সমৃদ্ধ নতুন একটি টিভি এনেছে সনি। এ সিরিজের এই টিভিটির মডেল কেডি৫৫এ৮এফ। এতে আলাদা কোনো স্পিকার নেই। টিভির শব্দ ডিসপ্লে প্যানেল থেকে আসে। মুভিতে যখন কোনো চরিত্র কথা বলবে, শব্দটা চরিত্রের মুখ থেকেই ভেসে আসবে। কেডি৫৫এ8এফ এ রয়েছে এক্স১ এক্সট্রিম প্রসেসর, অ্যাকুইস্টিক সারফেস এবং ১৬ জিবি ধারণক্ষমতা। এই টিভিগুলোতে ফোরকে ডিসপ্লের সুবিধা রয়েছে।এক্স সিরিজের উল্লেখযোগ্য মডেলগুলো হলো ৮৫ ইঞ্চির এক্স৯০০০এফ এবং ৭৫ ইঞ্চির এক্স৮৫০০ই। ফোরকে রেজল্যুশনে ৪৩ ইঞ্চি থেকে সনির টিভি পাওয়া যায়।স্যামসাংস্যামসাং দেশের বাজারে ২০১৮ সালের নভেম্বরের শেষে বেশ কয়েকটি স্মার্ট টিভি এনেছে। গত বছর আসা এন সিরিজের টিভিগুলো ৩২ ইঞ্চি থেকে শুরু করে ৬৫ ইঞ্চি পর্যন্ত হয়ে থাকে। তবে ফরমাশ দিলে ৮৫ ইঞ্চির টিভিও স্যামসাং সরবরবাহ করে।স্যামসাং ইলেকট্রনিকস বাংলাদেশের প্রধান বিপণন কর্মকর্তা খন্দকার আশিক ইকবাল বলেন, স্যামসাংয়ের শুধু টিভি নয়, রিমোট কন্ট্রোলারটিও স্মার্ট। কিউএলইডি টিভিতে যে রিমোট কন্ট্রোলারটি থাকে, তাতে তিন-চারটি বোতাম রয়েছে। তা দিয়েই টিভি নিয়ন্ত্রণ করা হয়। রয়েছে ইনভিজিবল কেব্‌ল ম্যানেজমেন্ট। টিভির সঙ্গে অতিরিক্ত কোনো কেব্‌ল দেখা যাবে না। টিভির জন্য ব্যবহার করা হয়েছে শক্তিশালী ৪০ ওয়াটের স্পিকার। ডিসপ্লে চালু না করে ব্লুটুথের মাধ্যমে মুঠোফোন থেকে গান শোনার ব্যবস্থাও রয়েছে। স্মার্ট টিভিগুলোতে রয়েছে তিন স্তরের নিরাপত্তা। বিকল হয়ে যাওয়ার আশঙ্কাও কম।অন্য টিভি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো ডিসপ্লেতে লাল, সবুজ, নীল (আরজিবি) রং থাকে। স্যামসাং এই ক্ষেত্রে ছয়টি রং ব্যবহার করে। স্যামসাংয়ের প্রতিটি টিভিতে নিজস্ব অ্যাপ স্টোর রয়েছে। এখানে থেকে বিনা মূল্যে সব অ্যাপ নামানো যায় যায়। স্মার্ট টিভিগুলোর স্টোরেজ ৮ জিবি থেকে ১৬ জিবি পর্যন্ত হয়ে থাকে।স্যামসাংয়ের এন সিরিজের উল্লেখযোগ্য মডেলগুলো হলো ৬৫এনইউ৭১০০, এন৪০০০, এন৪৩০০, এন৫০০০ এবং এনইউ৮৫০০। এ ছাড়া স্যামসাংয়ের এম এবং জে সিরিজের টিভিগুলো দেশের বাজারে পাওয়া যাচ্ছে।এলজিএলজির স্মার্ট টিভিতে রয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)। ৩২ থেকে ৮৬ ইঞ্চি পর্যন্ত এলজির স্মার্ট টিভি পাওয়া যায়। ওয়েব ওএস ৪.০ দিয়ে এলজির টিভি চলে। এতে রয়েছে গুগল অ্যাসিস্ট্যান্ট। নতুন স্মার্ট টিভিগুলোতে ম্যাজিক রিমোট অপশন এবং থ্রিডিসহ বেশ কিছু সুবিধা রয়েছে। এলজি এলএম৬২০০ মডেলের ৪২ ইঞ্চি টিভিতে রয়েছে থ্রিডি সুবিধা। টিভির সঙ্গে বিনা মূল্যে পাওয়া যাবে থ্রিডি চশমা। এটিতে বাড়তি ব্যাটারির প্রয়োজন হয় না।এলজি ৫৫এলএম৬৭১০ মডেলের টিভিটিতে প্যাসিভ থ্রিডি অপশন রয়েছে। এই অপশন থাকার ফলে টিভি দেখার সময় দর্শকদের চোখের ওপর চাপ কম পরবে। টিভি দেখার জন্য মাথাব্যথা হওয়ার সম্ভাবনাও নেই। এলএম সিরিজ ছাড়াও এলএ, এলএস, এমএন, এলবি, এমটি এবং এলএফ সিরিজ উল্লেখযোগ্য। দাম শুরু ১৯ হাজার ৯০০ টাকা থেকে।ওয়ালটনদেশীয় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন বেশ কয়েকটি নতুন স্মার্ট টিভি নিয়ে এসেছে। ৩২ ইঞ্চি সাইজে ওয়ালটনের তিনটি স্মার্ট টিভি রয়েছে। মডেলগুলো হলো ডিএইচ৩২ বিওয়াই ২২০, বিএক্স২২০ এবং ডব্লিউই৩২৬০-ডিএইচএস। ফোরকে রেজল্যুশনে ৫৫ ইঞ্চির একটি টিভি ওয়ালটন বাজারজাত করছে। এ ছাড়া ৪কে ছাড়াও ৩৯, ৪৩, ৪৯ ও ৫৫ ইঞ্চি সাইজেও ওয়ালটনের স্মার্ট টিভি পাওয়া যাচ্ছে। ২৩ হাজার ৮০০ থেকে ১ লাখ ১৫ হাজার টাকার মধ্যে এসব স্মার্ট টিভি পাওয়া যাবে।সিঙ্গারসিঙ্গারের ৩২ থেকে শুরু করে ৬৫ ইঞ্চি পর্দার স্মার্ট টিভি রয়েছে। ৩২ ইঞ্চি এলইডি ৩২ মডেলের টিভিতে অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম ৭.০ ব্যবহার করা হয়েছে। মিডিয়া শেয়ারিং, ডাইনামিক নয়েস রিডাকশন, স্লিপ টাইমারসহ বেশ কিছু সুবিধা রয়েছে এই টিভিতে। ৬৫ ইঞ্চি টিভির মডেল ইউএ৬৫এনইউ৭১০০আরএসইআর। এতে ফোরকে ডিসপ্লের পাশাপাশি কোয়াড কোর প্রসেসর, ২০ ওয়াট ডলবি ডিজিটাল প্লাস সাউন্ড এবং এইডিএমআই কানেকটিভিটি রয়েছে। ২৮ হাজার ৯০০ থেকে ২ লাখ ২৯ হাজার ৯১০ টাকার মধ্যে ৪৩, ৪৯ ও ৫৫ ইঞ্চির বিভিন্ন মডেলে স্মার্ট টিভিগুলো পাওয়া যাবে।ট্রান্সটেকল্যান কার্ড বা ব্রডব্যান্ড সংযোগ দেওয়ার পোর্টসহ টিভি বিক্রি করছে ট্রান্সকম ইলেকট্রনিকস লিমিটেড। ট্রান্সটেক ব্র্যান্ডের ৩২ ইঞ্চি স্মার্ট টিভি ২৪ হাজার টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। টিভির মডেল টিএলইডি ৩২এস২। এই ব্র্যান্ডের কোনো ফোরকে টেলিভিশন নেই। ৪৩ ইঞ্চি সাইজে ৩৮ হাজার ৫০০ টাকায় সর্বোচ্চ স্মার্ট টিভি পাওয়া যাচ্ছে।ট্রান্সটেক টিভি সম্পর্কে ট্রান্সকম ইলেকট্রনিকস লিমিটেডের সহকারী শাখা ব্যবস্থাপক শরিফুল হায়দার সাফি বলেন, ট্রান্সকম ডিজিটালের নিজস্ব ব্র্যান্ডে ট্রান্সটেক টিভি পাওয়া যায়। দেশেই এই টিভি সংযোজন করা হয়।ভিশননতুন বছর এবং বাণিজ্য মেলা উপলক্ষে দেশি ব্র্যান্ড ভিশন নিয়ে এসেছে নতুন একটি স্মার্ট টিভি। এটি চলে অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমে। এননাইনএস মডেলের ৪৩ ইঞ্চির এই টিভিটিতে রয়েছে অ্যাডভান্স প্ল্যান টু লাইন সুইচিং (এডিএস) প্যানেল। প্যানেলটি আইপিএস প্যানেলের উন্নত সংস্করণ। অ্যান্ড্রয়েড ৭.০ অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করা হয়েছে টিভিটিতে। রয়েছে ১.৫ জিবি র‌্যাম এবং ৮ জিবি রম। আইফ্লিক্স এবং সুইফট স্ট্রিমজ অ্যাপের মাধ্যমে থাকছে যেকোনো নতুন মুভি দেখার সুবিধা।ভিশনের জ্যেষ্ঠ ব্র্যান্ড ব্যবস্থাপক রকিব আহমেদ বলেন, ‘গত দুই বছরে টিভির ধারণার আমূল পরিবর্তন এসেছে। পৃথিবীতে ইউটিউবকে এখন সবচেয়ে বড় টিভি চ্যানেল বলা হয়। তাই শুধু ডিশ কেব্‌ল দিয়ে দেখা টিভিগুলোর জায়গা দখল করে নিচ্ছে স্মার্ট টিভি।’মিনিস্টার২৪ ইঞ্চি পর্দার স্মার্ট টিভি বিপণন করছে দেশীয় আরেকটি প্রযুক্তি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান মিনিস্টার। টিভিটির মডেল ইন্টারনেট গ্লোরিয়াস এলইডি টিভি। মিনিস্টারের ফোরকে ডিসপ্লেসমৃদ্ধ সর্বোচ্চ ৫৫ ইঞ্চির ইউএইচডি এলইডি টিভি রয়েছে। এই টিভিতে বজ্রপাত নিরোধক ব্যবস্থা রয়েছে। লোডশেডিং বা বিদ্যুতের ভোল্টেজের ওঠা–নামা হলেও টিভির ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা নেই। মিনিস্টারের প্রতিটি টিভির সঙ্গে দুইটি রিমোট কন্ট্রোল থাকে। ৩২ ও ৪৩ ইঞ্চি সাইজেও মিনিস্টারের স্মার্ট টিভি পাওয়া যায়। ১৫ হাজার ৭০০ থেকে ৯৯ হাজার টাকার মধ্যে টিভিগুলো পাওয়া যায়।হাতের নাগালে স্মার্ট টিভিস্মার্ট টিভি ব্যবহার করেন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ইউসুফ আলী। তিনি বলেন, ‘কাজের ব্যস্ততায় দুই বছর আগে টিভি দেখা ছেড়ে দিয়েছিলাম। তবে স্মার্ট টিভি আসার পর এ যন্ত্রটিই আমার অনেক কাজ করে দেয়। বাসায় ওয়াই–ফাই থাকাতে ইউটিউবের ভিডিওগুলো আমি এই টিভিতে দেখি।’২০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৬ লাখ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে স্মার্ট টিভির দাম। এসব টিভির ওপর দুই বছর থেকে পাঁচ বছর বিক্রয়োত্তর সেবা পাওয়া যায়।টিভি সারাবেন কোথায়?তারিকুর রহমান খাননতুন টিভি কেনার সময় ক্রেতার সাধারণ প্রশ্ন ‘বিক্রয়োত্তর সেবা কত বছরের’; ‘নষ্ট হলে কোথায় ঠিক করা যাবে’ কিংবা ‘টিভি ভালো চলবে তো’। টিভির দাম, আয়তন বা কোম্পানির নামের চেয়ে ওপরের বিষয়গুলোই অনেক সময় টিভি কেনার সময় বেশি গুরুত্ব দেন ক্রেতারা। স্যামসাং বাংলাদেশের হেড অব কনজ্যুমার ইলেকট্রনিকস শাহরিয়ার বিন লুৎফর বলেন, ‘বর্তমান যুগ স্মার্ট সময়ের। এ যুগে স্মার্ট ডিভাইসের চাহিদা অনেক বেশি। স্মার্ট ডিভাইস মানুষের জীবনকে যেন আরও সহজ করতে পারে, তা নিয়েই আমরা প্রতিনিয়ত কাজ করছি। এ জন্যই টিভি দেখার অভিজ্ঞতাকে সবার কাছে আরও উপভোগ্য করতে স্যামসাং বিভিন্ন রেঞ্জ ও মডেলের স্মার্ট টিভি দেশের বাজারে নিয়ে এসেছে। এসব টিভির বিক্রয়োত্তর সেবা ও সার্ভিস সেন্টারের বিষয়গুলো বিশেষ নজর দিই।’বিক্রয়োত্তর সেবাঅনুমোদিত পরিবেশক বা বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে কেনা স্যামসাংয়ের যেকোনো মডেলের টিভিতে ক্রেতারা পাবেন দুই বছরের পার্টস ও সার্ভিস ওয়ারেন্টি। ওয়ালটন টিভিতেও বিভিন্ন মেয়াদে বিক্রয়োত্তর সেবা দেওয়া হয়। প্রতিষ্ঠানটি এলইডি প্যানেল এবং খুচরা যন্ত্রাংশে দুই বছরের গ্যারান্টি। এ সময়ের মধ্যে প্যানেল বা অন্য কোনো পার্টস নষ্ট হলে বিনা মূল্যে ওই পার্টস পাল্টে দেওয়া হয়। কোনো সার্ভিস চার্জ নেওয়া হয় না। এ ছাড়া পাঁচ বছরের ফ্রি সার্ভিস। দুই বছরের পরে কোনো পার্টস নষ্ট হলে শুধু ওই পার্টসের দাম দিতে হয়। কোনো সার্ভিস চার্জ নেওয়া হয় না। পাঁচ বছরের ওয়ারেন্টির মেয়াদ শেষ হলে এর পর টিভি নষ্ট হলে নতুন পার্টসের দাম এবং সার্ভিস চার্জ দিতে হয়। এ ছাড়া বিভিন্ন টিভি কোম্পানি বিভিন্ন মেয়াদে বিক্রয়োত্তর সেবা প্রদান করে থাকে।ব্যক্তি উদ্যোগে সার্ভিস সেন্টারপ্রায় প্রতিটি এলাকাতেই ব্যক্তি উদ্যোগে টিভি মেরামত করার জন্য সার্ভিস সেন্টার রয়েছে। এসব সার্ভিস সেন্টারে যাঁরা কাজ করেন, তাঁরা এ বিষয়ে কোনো কোর্স করে ইলেকট্রনিক পণ্য মেরামত করার দোকান দেন। রামপুরা মধুবাগে তেমনি একটি সার্ভিস সেন্টারের দোকান ‘আলম সার্ভিস সেন্টার’। প্রতিষ্ঠানটির স্বত্বাধিকারী ও মেরামতকারী আলম হোসেন জানান, ‘ছোটবেলায় বাড়িতে কোনো ইলেকট্রনিক যন্ত্র নষ্ট হয়ে গেলে নিজে নিজেই মেরামত করার চেষ্টা করতাম। তখন থেকেই এর প্রতি একটি ভালোবাসা তৈরি হয়। পরে একটি ডিপ্লোমা কোর্সে ভর্তি হয়ে ইলেকট্রনিক যন্ত্র ঠিক করার হাতে–কলমে প্রশিক্ষণ নিই।’ তাঁর সার্ভিস সেন্টারে দেখা গেল পুরোনো অনেক টিভির সমারোহ। বর্তমানে আরও দুজন বর্তমানে কাজ করছেন তাঁর অধীনে। আলম হোসেন বলেন, ‘নানা রকম সমস্যার টিভি সার্ভিস সেন্টারে নিয়ে আসে। যথাসাধ্য সমস্যাগুলো সমাধান করার চেষ্টা করি। কোম্পানির দেওয়া বিক্রয়োত্তর সেবার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেই সাধারণ টিভিগুলো আমাদের এখানে নিয়ে আসে। মেয়াদ থাকা অবস্থায় কেউ আমাদের মতো সার্ভিস সেন্টারগুলোতে নিয়ে আসে না।’ ওই সার্ভিস সেন্টারেই কথা হয় টিভি ঠিক করতে আনা আমানুল্লাহ জাকিরের সঙ্গে। তিনি জানান, ‘আমার ব্যবহৃত টিভির বিক্রয়োত্তর সেবা শেষ হয়েছে অনেক আগে। বর্তমানে টিভিতে সাউন্ড শোনা যাচ্ছে না। তাই বাসার কাছের এ সার্ভিস সেন্টারে নিয়ে এলাম।’ এসব সার্ভিস সেন্টারে সমস্যা সমাধানে ব্যবহৃত যন্ত্রাংশের দাম ও সার্ভিসের ধরন অনুযায়ী মেরামত করতে কত টাকা লাগবে সেটা নির্ধারণ করা হয়।
387,718
অনলাইন ডেস্ক
international
আন্তর্জাতিক
০৩ ডিসেম্বর ২০১৫, ১৫:১৩
০৩ ডিসেম্বর ২০১৫, ১৫:৪২
যুক্তরাষ্ট্র
null
যুক্তরাষ্ট্রে হামলাকারীদের পরিচয় মিলেছে
http://www.prothom-alo.com/international/article/701773
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় প্রতিবন্ধী সেবাকেন্দ্রে হামলাকারী দুই বন্দুকধারীকে শনাক্ত করেছে পুলিশ। পুলিশ বলছে, হামলার সময় পুলিশের অভিযানে নিহত দুই বন্দুকধারীই মুসলিম। তাঁদের মধ্যে একজন মার্কিন বংশোদ্ভূত।এএফপির খবরে জানা যায়, সান বার্নার্ডিনো কাউন্টির পুলিশ প্রধান জ্যারড বারগুয়ান স্থানীয় সময় গতকাল বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, প্রাথমিকভাবে হামলায় তৃতীয় কোনো ব্যক্তি জড়িত আছেন বলে তাঁরা ভেবেছিলেন। পরে তাঁরা নিশ্চিত হয়েছেন, দুজন বন্দুকধারীই হামলা চালিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে একজন পুরুষ ও একজন নারী। তাঁরা হলেন, সৈয়দ রিজওয়ান ফারুক (২৮) ও তাসফিন মালিক (২৭)। তাঁদের মধ্যে সৈয়দ রিজওয়ান মার্কিন বংশোদ্ভূত।পুলিশ কর্মকর্তা বারগুয়ান বলেন, ফারুক ওই কাউন্টির সরকারি স্বাস্থ্য বিভাগে পরিবেশ বিশেষজ্ঞ হিসেবে পাঁচ বছর ধরে কর্মরত। পুলিশ মনে করছে, কর্মক্ষেত্রে অসন্তোষের কারণে এ হামলা হতে পারে। হামলা ছিল পূর্বপরিকল্পিত।সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, হামলার আগে সেবাকেন্দ্রে চলা অনুষ্ঠানে ফারুক উপস্থিত ছিলেন বলে পুলিশ নিশ্চিত হয়েছে। সেখানে বাগবিতণ্ডা হয় বলে পুলিশের কাছে খবর রয়েছে। পরে ফারুক মেজাজ খারাপ করে সেখান থেকে বেরিয়ে যান। পুলিশ মনে করে, পুরো ঘটনাই পূর্বপরিকল্পিত ছিল। রাগ করে ওই অনুষ্ঠান থেকে বেরিয়ে যাওয়াও তারই অংশ ছিল। ব্যাপারটি এমন নয় যে রাগ করে বেরিয়ে গিয়ে ফারুক ভারী অস্ত্র ও কমান্ডো পোশাকে সজ্জিত হয়ে হামলা চালিয়েছে।আমাদের নিউইয়র্ক প্রতিনিধি জানান, স্থানীয় সময় গতকাল বুধবার বেলা ১১টার দিকে সান বার্নার্ডিনো কাউন্টির ইনল্যান্ড রিজিওনাল সেন্টার নামের ওই সেবাকেন্দ্রে ঢুকে নির্বিচারে গুলি ছোড়েন বন্দুকধারীরা। এ ঘটনায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ১৪ জন নিহত ও ১৭ জন আহত হয়েছেন। পরে পুলিশের অভিযানে গুলিতে দুই বন্দুকধারী নিহত হন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ক্যালিফোর্নিয়ার হামলার ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছেন। এ ধরনের সহিংসতা বন্ধে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে তিনি সবার প্রতি আহ্বান জানান।বিবিসি ও রয়টার্সের খবরে জানানো হয়, সান বার্নার্ডিনো শহরের পুলিশ প্রধান জ্যারড বারগুয়ান সকালে বলেন, হামলাকারীরা সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে অভিযানে নেমেছিলেন। তাঁদের কাছে ভারী অস্ত্র ও হাতবোমা ছিল। পোশাকও ছিল কমান্ডো ধরনের। মনে হচ্ছিল তাঁরা কোনো অভিযানে নেমেছেন। এটি জঙ্গি হামলা কি না, এ ব্যাপারে নিশ্চিত নয় যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এফবিআই। গোলাগুলির সময় অনেকে ওই সেবাকেন্দ্রের বিভিন্ন ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে আত্মরক্ষার চেষ্টা করেন। পরে পুলিশ অনেককে সেখান থেকে সরিয়ে নেয়।সেবাকেন্দ্রের সভাপতি ম্যাবেথ ফিল্ড বলেন, হামলার লক্ষ্য তাঁদের কাছে নিশ্চিত নয়। রোগীদের যেখানে চিকিৎসা দেওয়া হয়, সেখানে হামলা হয়নি। সেবাকেন্দ্রের যেখানে সম্মেলন বা সামাজিক অনুষ্ঠান হয়, সেখানেই হামলার ঘটনা ঘটেছে। প্রতিবছর ডিসেম্বর মাসের দিকে সেখানে এই অনুষ্ঠান হয়।২০১২ সালে একটি স্কুলে গুলি করে ২৬ জনকে হত্যা করা হয়। কিছু দিন আগে কলোরাডো একটি পরিবার পরিকল্পনাকেন্দ্রে গুলি করে পাঁচজনকে হত্যা করেন বন্দুকধারীরা।আরও পড়ুন...যুক্তরাষ্ট্রে সেবাকেন্দ্রে ঢুকে গুলি, নিহত ১৪
179,840
বিনোদন ডেস্ক
entertainment
বিনোদন
২৪ মার্চ ২০১৯, ১৫:০২
২৪ মার্চ ২০১৯, ১৫:০৬
আলাপন
0
‘আবেদনময়ী’ নয় ‘আকর্ষণীয়’ সারা
http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/1585050
বলিউডের ভেঙে যাওয়া একটি পরিবারের মেয়ে সারা আলী খান। শৈশবেই তাঁর অভিনেতা বাবা সাইফ আলী খান আর অভিনেত্রী মা অমৃতা সিংয়ের বিচ্ছেদ হয়ে যায়। একপর্যায়ে সাইফ বিয়ে করেন তারকা অভিনেত্রী কারিনা কাপুরকে। পরিবার ভাঙলেও ভেঙে পরেননি অমৃতা সিং। মেয়ের মনে ফুলের আঁচড় পর্যন্ত লাগতে দেননি। বুঝতে দেননি, সে একটি ভাঙা পরিবারের সন্তান। সেই সারা কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা শেষ করে ফিরেছেন বলিউডে। বাবা-মায়ের কর্মস্থলে নিজের জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। ‘কেদারনাথ’ ছবিতে নায়িকা হয়েছেন, ‘সিমবা’ ছবিতে রণবীর সিংয়ের নায়িকা হয়েছেন। সামনে তাঁর ক্যারিয়ারের গুরুত্বপূর্ণ সময়। ফিল্মফেয়ারকে খোলামেলা নানা কথা বলেছেন এই নবাগত তারকা।‘কেদারনাথ’ ছবির গল্পটা আপনাকে ঘিরে। অন্যদিকে ‘সিমবা’ ছবিতে আপনার উপস্থিতি প্রায় নেই বললেই চলে। ছবিটা করতে গেলেন কেন? প্রতিটি ছবি করার পেছনে আলাদা কিছু কারণ থাকে। আমি বাণিজ্যিক ছবির ভক্ত। আমি রোহিত শেঠির ভক্ত, রণবীর সিংয়েরও ভক্ত। রোহিতের ছবিতে রণবীরের নায়িকা হওয়ার সুযোগ পেয়েছি। করব না কেন! কিছু কাজ আছে, সেগুলোর সঙ্গে থাকতে পারাটাই সৌভাগ্যের। ছবিতে কাজ করে তৃপ্ত হওয়া আর বাণিজ্যিকভাবে সফল হওয়ার মধ্যে একটা ভারসাম্য থাকা দরকার।কোন ছবিটা করবেন, কোনটা করবেন না, এসব ক্ষেত্রে কোনো পদ্ধতি মেনে চলেন? আমি তো নতুন। আমাকে প্রত্যয়ী থাকতে হচ্ছে। পরিচালক, চিত্রনাট্য, চরিত্র—এগুলো ভালো লাগলেই আমি রাজি হয়ে যাই। মানুষ কেবল শুক্রবারটিকে নিয়ে কথা বলে, যে শুক্রবারে ছবি মুক্তি পায়। তাঁরা মাথায় রাখে না, কত কত সোমবার, বুধবার আর রোববার চলে যায় শুটিংয়ে। বাড়ির বাইরে অচেনা একটা জায়গায় দিনের পর দিন আমাদের শুটিং করতে হয়। আমি কেবল সততা, নিষ্ঠা আর প্রত্যয়ের সঙ্গে কাজ করতে পারি। এ ছাড়া আমার আর কোনো পদ্ধতি নেই।আপনার লক্ষ্য কি বড় তারকা হওয়া, নাকি একজন ভালো অভিনয়শিল্পী হওয়া? আমি খ্যাতিতে বিশ্বাস করি না। তারকাখ্যাতি ব্যাপারটা আমার একটু মজার আর একটু ভয়ের মনে হয়। ব্যাপারটিকে পাত্তা না দিয়েও–বা কোথায় যাব। আমাদের দেশের লোকেরা তারকা পছন্দ করেন। আমরা তারকাদের নিয়ে মেতে থাকি, রীতিমতো মাথায় তুলে রাখি। আমি নিজেই তো শ্রীদেবীর পাগল ভক্ত। আমি মনে করি, তিনিই এই দেশের শেষ তারকা। এখন যাঁদের দেখা যায়, তাঁরা আসলে তারকা নন। কেননা, আমাকে কিন্তু রণবীরের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হতে দেখা যাচ্ছে, সুশান্তের সঙ্গে আড্ডা মারতে দেখা যাচ্ছে, একা নাচ করতে দেখা যাচ্ছে...ইনস্টাগ্রামে সব দেখা যায়। সবই তো প্রকাশিত হয়ে যাচ্ছে। খুব সস্তা হয়ে গেছে সবকিছু। আমি বিশ্বাস করি, আমাকে কতগুলো অর্থপূর্ণ কাজ করতে হবে, যেগুলো লোকের ভেতরে দাগ কাটবে। সেটাই আমার চেষ্টা। আমি সব ধরনের ছবি করতে চাই। আমি ভাগ্যবতী, কারণ নিজেকে তুলে ধরার জন্য পরপর ‘কেদারনাথ’ ও ‘সিমবা’র মতো ছবি পেয়েছি। নিজেকে সুন্দর, আবেদনময়ী, মজার, শিল্পিত, বাণিজ্যিক—সব পরিস্থিতিতে তুলে ধরতে চাই। আমি অভিনয় করতে এসেছি।আপনি উচ্চাভিলাষী? খুব খুব খুব উচ্চাভিলাষী। ধিরুভাই আম্বানি ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, যেখানে আমি পড়েছি, জায়গাটা খুবই প্রতিযোগিতাপূর্ণ। কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় খুব সহজে ভর্তি হতে পারার মতো প্রতিষ্ঠান নয়। বলিউডও খুব সহজ বা মজার জায়গা না যে মোটাসোটা একটা মানুষ পায়জামা পরে গিয়ে সেখানে হাজির হলেই সবাই জায়গা ছেড়ে দেবে। আবার কেউ প্রস্তুত হয়ে তারপর সেখানে গিয়ে ঢুকতে পারবে, সেটাও না। এখানে প্রতিনিয়ত নিজেকে বদলের ওপর রাখতে হয়। আমি সেই সুবিধাটা পেয়েছিলাম। নিজের জন্য আমি সবচেয়ে ভালো কাজটা করতে চাই। সহজেই কিছু পেয়ে যাব—সেই আশা আমি করি না।ভক্তদের কাছ থেকে কেমন প্রতিক্রিয়া পান, বিশেষ করে ছেলেদের কাছ থেকে? ছেলেদের তোষামোদি আমি পাত্তা দিই না। বিশ্বাস করুন। এটা নিয়ে আমি আর মা প্রায়ই হাসাহাসি করি। আমার ধারণা, আমি একটু ভিতু প্রকৃতির। আমি একটু বেশি উৎসুক, উচ্চকিত আর সঙ্গপ্রিয়। ছেলেদের প্রশংসা বা তোষামোদ আমি টের পেয়ে যাই।আপনার ভেতরে কিন্তু একটা মেয়েলিপনা আছে। সালোয়ার-কুর্তা পরে আপনাকে মন্দিরের বাইরে প্রসাদ বিতরণ করতে দেখা গেছে। ছেলেরা তো আজকাল মেয়েদের সালোয়ার পরাটা দেখতেই পারে না। যেমনটা আমি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি ছোট জামাকাপড়ে। তবে আমি দুই ধরনের পোশাকেই সমান আত্মবিশ্বাসী। কিন্তু ছেলেরা এ দুই ধরনের পোশাকের ব্যাপারে সমান আগ্রহী নয়।আপনার আবেদনটা কোথায় তাহলে? আমি আবেদনময়তা নিয়ে চিন্তিত নই। আমি ‘আবেদনময়ী’ শব্দটিতেও বিশ্বাস করি না। এটা একটু বেশি বেশি। বরং ‘আকর্ষণীয়’ শব্দটি ব্যবহার করা যেতে পারে। আমাকে আকর্ষণীয় দেখায় কারণ আমি নকল নই। লোকে চিনে ফেলে এ কারণেই। অন্তত সেই কারণে হলেও আমি আত্মবিশ্বাসী। সেটা আমি যেখানেই থাকি না কেন—সেট, পার্টি, স্টুডিও, মিটিং বা স্কার্ট পরে রাস্তায় হাঁটলেও।রূপের যত্নে আপনি নাকি দাদিদের পথ বেছে নিয়েছেন? বাজারের পণ্যে আমার বিশ্বাস নেই। ধরুন মুখে যদি ফল, মাখন, মধু ব্যবহার করেন কিংবা মুখে ঘষার জন্য প্রাকৃতিক জিনিস হিসেবে বাদাম বা ওটস ব্যবহার করেন, তাতে ত্বক চকচক করবে। চুলের জন্য ঘৃতকাঞ্চন দারুণ। লোকে হয়তো হাসতে পারে, মেথি আর পেঁয়াজ কিন্তু চুলের জন্য খুবই ভালো। এগুলো ব্যবহার করলে চুল এত সুন্দর লাগবে যে আপনার আলোকচিত্রী খুশি হয়ে যাবে। তবে সহশিল্পী সহ্য করতে পারবে না। বাজি ধরতে পারেন। পেঁয়াজের গন্ধওয়ালা চুল নিয়ে কাছে যাওয়ার জন্য সুশান্ত আর রণবীরের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছিলাম।তাঁরা অভিযোগ করেছিলেন নাকি? (হাসতে হাসতে) হ্যাঁ, করেছিলেন। আমিই গিয়ে বলেছিলাম যে চুলে পেঁয়াজের রস দিয়েছি। একটাই তো গানের শুটিং। কষ্ট করে একটু সহ্য করেন। তাঁদের ভাবটা এমন ছিল, ‘কেন পেঁয়াজ লাগিয়ে এসেছ’, আর আমি ভাব করছিলাম, ‘সুন্দর লাগছে না!’ রণবীর আমাকে কৈলাস জীবান নামের একটা জিনিসের কথা বললেন, সেটা নাকি ভালো। ব্যস্ততা থাকলে রণবীর সেটা ব্যবহার করেন। আমি সেটা প্রতিদিন ব্যবহার করতে থাকলাম। দেখে রণবীর হতবাক। বললেন, ‘প্রতিদিন দিচ্ছ, খারাপ না।’জাহ্নবীর (কাপুর) সঙ্গে আপনার বেশ উষ্ণ সম্পর্ক...কলেজে পড়ার সময় থেকে জাহ্নবীর সঙ্গে আমার সম্পর্ক। সে সময় আমি আমার ৯৬ কেজি শরীর নিয়ে একটু ঝামেলার মধ্য ছিলাম। তাঁর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে আড্ডা হতো। আমি সব সময় তাঁকে শুভকামনা জানাই। ইদানীং দুজনেই খুব ব্যস্ত থাকি বলে তাঁর সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ তেমন হয় না। তবে দেখা হলে একে অন্যের কাজ নিয়ে ভালো-মন্দ আলাপ হয়। একসময় আমাদের দুজনের মধ্যে তুলনা করা হতো। এই তো কদিন আগেও ইনস্টাগ্রামে একজন লিখল, শাড়িতে কাকে বেশি সুন্দর লাগে? এটা আগে একটা অর্থহীন ব্যাপার ছিল। এখন অবশ্য করা যেতে পারে। কারণ, এখন সেও ছবি করে ফেলেছে, আমি করেছি।কখন মনে হলো, আপনি অভিনয়শিল্পী হতে চান? এ রকম কোনো দৈবিক মুহূর্ত আমার আসেনি। পেছনের দিকে তাকালে মনে পড়ে, চার-পাঁচ বছর বয়সে আমি বলিউডের গানের সঙ্গে নাচ করতাম, নিজে নিজে গাইতাম। বাড়িতে বসে বসে বিজ্ঞাপনের নকল করতাম। এমনকি ‘নিরমা’ উচ্চারণ করতেই পারতাম না, বলতাম ‘মিরমা’। স্কুলে ভর্তির সময় মা বলেছিলেন, খুব ভদ্রভাবে কিছু বলতে বললে কীভাবে বলবে? আমি বলতাম ‘দামা দাম মাস্ত কালান্দার, আলিদা প্যাহলা নাম্বার’। সবাই ভাবত, আমি একটা ক্র্যাক বাচ্চা। যত দূর মনে পড়ে, ছোট থেকেই আমি এসব করতাম।আপনি সিনেমায় নাম লেখাচ্ছেন জানার পর বাবা-মায়ের প্রতিক্রিয়া কেমন ছিল? পড়াশোনা ভালোবাসে—এমন মেয়ে ছবি করতে যাচ্ছে, এটাই ছিল তাঁদের জন্য আশ্চর্যের বিষয়। আমি যখন কলাম্বিয়া গেলাম, লোকে বাবা-মাকে সতর্ক করেছিল যে এই মেয়ে কিন্তু পয়সা নষ্ট করতে যাচ্ছে। সে ডিগ্রি নিয়ে ফিরবে ঠিকই, কিন্তু সিনেমায় গিয়ে ঢুকবে। আমার বাবা-মা তো ভণ্ড না। তাঁদের আজ যা আছে, সবই এই ইন্ডাস্ট্রি তাঁদের দিয়েছে। এ ব্যাপারে তাঁরা সচেতন আর কৃতজ্ঞ। তাঁরা নিজেদের কাজকে ভালোবাসেন। তাঁরা বিশ্বাস করেন, এটাই তাঁদের সবচেয়ে ভালো কাজ। আপনি যখন এই পৃথিবীর একটি অংশ, সুতরাং আপনাকে একটা ভারসাম্য বজায়ে রাখতেই হবে। তাঁরা জানতেন, তাঁদের সমর্থন পেলে আমি সেটা ধরে রাখবই।মেধাবী শিক্ষার্থী হিসেবে শোবিজে আসতে কেউ বারণ করেনি? বারণ করেনি। বরং সিনেমায় আসাটা আমার জন্য বিভ্রান্তিকর ছিল। আমার ওজন ছিল ৯৬ কেজি। নিজের চেহারার ব্যাপারে একদমই আত্মবিশ্বাস ছিল না আমার। কিন্তু পড়ালেখায় আবার ভীষণ স্মার্ট ছিলাম। শিক্ষকেরা ভালোবাসতেন, কারণ বেশি নম্বর পেতাম। বন্ধুরা পছন্দ করত, কারণ আমি ছিলাম মজার একটা মেয়ে, তাঁদের হোমওয়ার্কে সহযোগিতা করতাম। কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া একটা মোটা আর মেধাবী মেয়ের পক্ষে সিনেমায় আসার চিন্তা করাটা কঠিন, যদি সেটা নিজে থেকে ঠিক না হয়। মোটা হওয়ায় খুব একটা অসুবিধা বোধ করতাম না। অথচ যে কাজে নেমেছি, সেখানে হরমোনালি, ইমোশনালি আর ফিজিক্যালি মোটা হওয়া খুব খারাপ। মোটা হওয়ায় মাথার মধ্যে একটা বাজে যুক্তি নিয়ে ঘুরতাম, যেমন: ‘সাতটা বিষয়ে যদি এ গ্রেড পেতে পারি, তাহলে আমি পাঁচটা পিৎজা কেন খাব!’ ভাবতাম, আইনজীবী হয়ে যাব, ডাক্তার হয়ে যাব কিংবা হোয়াইট হাউসে গিয়ে উঠব। এই সব আরকি।৯৬ কেজি থেকে ছিপছিপে হয়ে গেছেন, এটা একটা অর্জন বটে! অবশ্যই। এখন আমার ওজন ৫৫ কেজি। শিগগির ৫৪ হয়ে যাবে। আমি এখন আর সেই মেয়েটি নেই। নিজের পুরোনো ছবি দেখলে এখন ভাবি, কী সব চিন্তা করতাম একদিন! একে তো আমি ভোজনরসিক, তার ওপর ওজন কমিয়েছি। যেনতেন কথা নয়! আপনি যখন খুব করে কিছু চাইবেন, সেটা অসম্ভব নয়।খুব ছোটবেলায় আপনার বাবা-মা আলাদা হয়ে যান। এ নিয়ে কোনো কষ্ট আছে?না।সন্তান হিসেবে বিষয়টা আপনার কাছে কেমন মনে হয়? শৈশবেই আমি বুঝেছিলাম, এভাবেই তাঁরা ভালো আছেন। একসঙ্গে বা আলাদা থাকার মধ্যে আমি তেমন কোনো পার্থক্য বুঝিনি। আমি তো খুব অসুখী, অস্থির এবং বিষাক্ত পরিবেশে বেড়ে উঠতে পারতাম। কিন্তু আজ আমি পৃথিবীর সেরা মায়ের কাছে সবচেয়ে নিরাপদ, সুখী, স্বাস্থ্যকর একটা পরিবেশে বড় হচ্ছি। বন্ধুরা জিজ্ঞেস করে, ছুটির রাতে একসঙ্গে খাওয়াদাওয়া মিস করি কি না। প্রতিরাতে ব্যায়াম করে ফেরার পর আমি মায়ের সঙ্গে সময় কাটাই। প্রতি রাতেই পায়জামা পার্টি হয় আমাদের, দারুণ লাগে সেটা। বাবা কখনোই বুঝতে দেন না যে আমরা একসঙ্গে নেই। তিনি সব সময় ফোন করেন। রাতের খাবার বা কফির জন্য তিনি সব সময় প্রস্তুত। তাহলে কী মিস করব, কেন মিস করব? দুজন সুখী বাবা-মায়ের সঙ্গে আমি দুটি পরিবার পেয়েছি। প্রত্যেকের আলাদা করে একটা বড় ক্ষতির বদলে এটা বরং ভালো হয়েছে।কে বেশি কাছের, বাবা নাকি মা? মা। তিনিই আমার পৃথিবী। তাঁকে ছাড়া আমি অচল। ‘কোন পোশাকটি পরব’ থেকে শুরু করে ‘এই ট্রেলার ভালো লাগল কীভাবে’, ‘ছেলেটা দারুণ না’...সব শেয়ার করি। তিনি সব বিষয়ে মত দেন। মায়ের খুব নেওটা আমি, আবার দুজনের খুব ঝগড়াও হয়। লোকে হাঁ করে আমাদের কাণ্ড দেখে।বাবার কোন ছবিটা আপনার সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে?‘হাম তুম’ আমার বেশি ভালো লেগেছে। এমনকি ‘সালাম নমস্তে’ ছবিতেও তাঁকে খুব মজার লেগেছে। আবার যখন তাঁকে ‘ওমকারা’ বা ‘সেক্রেড গেমস’-এ দেখি, তখন ভরসা তৈরি হয়। তিনি এত মেধাবী একজন অভিনেতা, যেকোনো চরিত্রে তিনি মিশে যেতে পারেন।আর মায়ের? মায়ের ছবি আমি দেখিনি। আমি বড় হয়ে উঠতে উঠতে তিনি কাজ ছেড়ে দিয়েছেন। সম্প্রতি তাঁর কিছু পুরোনো ছবি দেখেছি। তিনি নৃত্যশিল্পী হিসেবে তেমন ভালো নন, কিন্তু ‘ওয়ারিশ’ ছবির ‘মেরে পেয়ার কি ওমর’ গানে তাঁকে খুব সুন্দর লাগছিল।বাবা-মায়ের চরিত্র থেকে আপনি কী পেয়েছেন? বাবার কাছ থেকে পেয়েছি মন, মায়ের কাছ থেকে হৃদয়। এসবই আমাকে সুন্দর করেছে। বাকি যা আমার নেই, সেসব আমি গড়ে নেব।সৎমা কারিনার ব্যাপারে কী বলবেন? আমি তাঁর মারাত্মক ভক্ত। আজ পর্যন্ত আমার কাছে বিস্ময়ের ব্যাপার হচ্ছে ‘পু’ থেকে শুরু করে ‘কাভি খুশি কাভি গম’-এর নায়িকা আমার সৎমা! শ্রীদেবীর পরেই আমি কারিনা কাপুরের ভক্ত। আমি মনে করি, আমার বাবাকে যে ভালো রাখতে পারে, সে আমার কাছে ভালো। বাবাকে যে ভালোবাসবে, আমিও তাকে ভালোবাসব। সে কে, সেটা আমার জানার দরকার নেই। বাবা মনে করেন, আমি আর কারিনা ভালো বন্ধু। আমাদের দুজনের সম্পর্ক মর্যাদার। কারিনাকে গ্রহণ করতে সহজ হয়েছে, কারণ আমার মা আমাকে বুঝিয়েছিলেন, সব ঠিক আছে। বাবার বিয়েতে তিনিই আমাকে সাজিয়ে দিয়েছিলেন। এ-ই যখন পরিবেশ, তখন সবকিছু ঠিক থাকতে বাধ্য।পেশার নির্মম দিকগুলোর ব্যাপারে আপনি কতটা প্রস্তুত?সব ইন্ডাস্ট্রিতে নির্মমতা আছে। আমার বাবা-মা জীবিত আছেন, তাঁরা আমাকে খুব ভালোবাসেন। আমি জানি, আমার মা খুব রক্ষণশীল, শক্তিশালী ও ক্ষমতাবান। তিনি আমার মাথার ওপরে আছেন। আশা করি, আমি ভালো থাকব। সব জিনিসের অন্ধকার দিক আছে। সেটা ছাড়া দুনিয়াটা ভালো লাগবে না।
394,988
ভোলা প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
১৬ আগস্ট ২০১৬, ০১:২৩
১৬ আগস্ট ২০১৬, ০১:২৬
ভোলা,বরিশাল বিভাগ,বিশাল বাংলা,অপরাধ
0
জাল জব্দ
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/947659
ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার গঙ্গাপুর খালগোড়ার একটি গুদামে গতকাল সোমবার অভিযান চালায় দক্ষিণাঞ্চলীয় কোস্টগার্ড। দক্ষিণাঞ্চলীয় কোস্টগার্ডের কর্মকর্তা লে. নাজিউর রহমান বলেন, অভিযানকালে গুদামজাত করা ৩ লাখ ৮৪ হাজার মিটার নতুন কারেন্ট জাল ও ২ হাজার ৭০০ মিটার চরঘেরা মশারি জাল জব্দ করা হয়। জব্দ জালের আনুমানিক মূল্য ১ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। তবে অভিযানকালে কাউকে আটক করতে পারেনি কোস্টগার্ড। পরে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবদুল কুদ্দুসের উপস্থিতিতে জালগুলো পুড়িয়ে ফেলা হয়।
250,266
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ০০:৫৫
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ০০:৫৬
চুয়াডাঙ্গা,খুলনা বিভাগ,বিশাল বাংলা
0
চুয়াডাঙ্গা সাহিত্য পরিষদের উৎসব আজ
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1073087
চুয়াডাঙ্গা সাহিত্য পরিষদের ৩৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আজ শুক্রবার উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। এবারের উৎসবের প্রতিপাদ্য ‘আলোকের এই ঝর্নাধারায় ধুইয়ে দাও’।বেলা তিনটায় শহরের সাহিত্য পরিষদ চত্বরে উৎসব শুরু হবে। অনুষ্ঠান উদ্বোধন করবেন জাতীয় সংসদের হুইপ ও স্থানীয় সাংসদ সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার। উৎসবের নানা কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে সাহিত্য আলোচনা, গান, কবিতা আবৃত্তিসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সাহিত্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম বলেন, বিগত বছরগুলোতে এই সাহিত্য সংগঠন দেশের প্রধান কবি-সাহিত্যিকদের সঙ্গে চুয়াডাঙ্গার সাহিত্যিকদের সেতুবন্ধ ঘটিয়েছে। পরিষদের আজকের উৎসব প্রবীণ-নবীন সব বয়সী লেখক-কবি-সাহিত্যিকদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের মিলনমেলায় পরিণত হবে বলে আশা করেন তিনি। চুয়াডাঙ্গা সাহিত্য পরিষদ গত ২০ নভেম্বর তার ৩৯ বছর পূর্ণ করে।
289,887
নিজস্ব প্রতিবেদক
bangladesh
বাংলাদেশ
২০ মার্চ ২০১৬, ১৭:৩২
২০ মার্চ ২০১৬, ২২:৪৪
-1
null
তদন্ত নিয়ে কথা বলবেন না ফরাসউদ্দিন
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/804682
বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের অর্থ চুরির ঘটনা তদন্তে সাবেক গভর্নর মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিনকে প্রধান করে গঠিত তিন সদস্যের কমিটি প্রথমবার বৈঠক করেছে। আজ রোববার বিকেল পাঁচটার দিকে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের বাসায় বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।বৈঠক শেষে চলে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ফরাসউদ্দিন বলেন, ‘তদন্তের স্বার্থে আমি আগামী এক মাস এ ব্যাপারে কোনো কথা বলব না। কথা বললে তদন্ত ব্যাহত হবে।’বৈঠকে কী আলোচনা হয়েছে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, মাত্র ২০ মিনিট প্রথম বৈঠক হয়েছে।কমিটিতে আরও সদস্য নেওয়া হবে কি না, জানতে চাইলে ফরাসউদ্দিন বলেন, ‘না, প্রয়োজন বোধ করছি না।’তদন্তের স্বার্থে ফিলিপাইনে বা যুক্তরাষ্ট্রে যেতে হতে পারে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক এই গভর্নর বলেন, ‘সেটা পরে দেখা যাবে। এখনো ঠিক করিনি। কমিটি কার্যবিধি অনুসারে কাজ করবে ও যথাসময়ে প্রতিবেদন দেবে।’
212,331
নিজস্ব প্রতিবেদক
bangladesh
বাংলাদেশ
১২ জানুয়ারি ২০১৪, ২১:০৩
১২ জানুয়ারি ২০১৪, ২৩:২৮
সরকার
null
নতুন মন্ত্রিসভার কাজ সহজ হয়ে গেছে: জয়
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/121809
নতুন সরকারের চ্যালেঞ্জের বিষয়ে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, এ মন্ত্রিসভার কাজ অনেকটা সহজ হয়ে গেছে। বিদ্যুত্সহ বিভিন্ন খাতে দেশে যে চ্যালেঞ্জগুলো ছিল, তার অধিকাংশই সমাধান হয়ে গেছে। এখনকার মন্ত্রিসভার কাজ দেশকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।আজ রোববার বিকেলে বঙ্গভবনে নতুন মন্ত্রিসভার শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগদান শেষে তিনি সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।সজীব ওয়াজেদ বলেন, ‘আমার কাজ ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়া। দেশে আইটি শিল্প গড়ে তোলা হবে। আমার লক্ষ্য, আইটি খাতে এক বিলিয়ন ডলারের মার্কেট তৈরি করা।’ নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নির্বাচনকালীন সময়ে সংঘাত-সহিংসতা না থাকলে আরও বেশি মানুষ ভোট দিত।সজীব ওয়াজেদ বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের সময় যারা বাংলাদেশকে সমর্থন করেনি, তারা যদি এখনো নির্বাচন ও সরকারকে সমর্থন না করে, তবে আমাদের কী করার আছে। নির্বাচন ও সরকার বাংলাদেশের মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়েছে কি না, এ দেশের মানুষ গ্রহণ করেছে কি না, সেটাই সবচেয়ে বড় কথা।
42,867
গাজীপুর প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
২৩ জুন ২০১৬, ০২:১০
২৩ জুন ২০১৬, ০২:১১
গাজীপুর,ঢাকা বিভাগ,রাজধানীর চারপাশ​​,অপরাধ
0
গাজীপুরে কাউন্সিলরসহ গ্রেপ্তার ৪
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/896689
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের বাইমাইল এলাকা থেকে গত মঙ্গলবার মধ্যরাতে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর পৌরসভার কাউন্সিলর, তাঁর কথিত স্ত্রী ও তাঁদের ব্যক্তিগত গাড়ির চালককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পুলিশ বলছে, তাঁদের কাছ থেকে ৫২০টি ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা করা হয়েছে।গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন মির্জাপুর পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শহিদুর রহমান ওরফে শিপন (৪২), তাঁর কথিত স্ত্রী (২৭) ও তাঁদের গাড়িচালক মির্জাপুর উপজেলার বাউয়ার কুমারজানি গ্রামের মিনহাজ উদ্দিন (৪০)।পুলিশ জানায়, ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের বাইমাইল ব্রিজের পাশে জয়দেবপুর থানা-পুলিশের তল্লাশিচৌকি রয়েছে। মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে সেখানে একটি প্রাইভেট কারকে থামার সংকেত দেয় পুলিশ। এ সময় গাড়িটি সংকেত না মেনে বেপরোয়াভাবে চলে যায়। পরে পুলিশ ধাওয়া করে কোনাবাড়ী এলাকায় গাড়িটিকে আটক করে। এরপর গাড়ি তল্লাশি করে ৫২০টি ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করা হয়। এ সময় পুলিশ গাড়িটি জব্দ এবং ওই তিনজনকে গ্রেপ্তার করে।জয়দেবপুর থানার কোনাবাড়ী পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) রফিকুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় মামলা করা হয়েছে।
234,907
নিজস্ব প্রতিবেদক
bangladesh
বাংলাদেশ
০৭ আগস্ট ২০১৪, ১৭:১৩
০৭ আগস্ট ২০১৪, ১৭:১৩
-1
null
তোবার মালিক দেলোয়ারের সঙ্গে নৌমন্ত্রীর বৈঠক
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/285088
তোবা গ্রুপের মালিক দেলোয়ার হোসেনের সঙ্গে নৌমন্ত্রী শাজাহান খান, শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক ও বিজিএমইএর সভাপতি আতিকুল ইসলাম বৈঠক করেছেন। আজ বৃহস্পতিবার বেলা দুইটার পর থেকে বিকেল সাড়ে চারটা পর্যন্ত হোটেল সোনারগাঁওয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।বিজিএমইএর নেতারা জানান, শ্রমিকদের জুলাই মাসের বেতন কীভাবে দেওয়া যায়, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।বিজিএমইএ ভবনে এ বিষয়ে ব্রিফ করবেন নৌমন্ত্রী।২০১২ সালের ২৪ নভেম্বর দিবাগত রাতে আশুলিয়ার নিশ্চিন্তপুরে তোবা গ্রুপের প্রতিষ্ঠান তাজরীন ফ্যাশনসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে ১১১ জন পোশাকশ্রমিক অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যান। এ ঘটনায় করা মামলায় জামিন নিতে গেলে আদালত ৯ ফেব্রুয়ারি দেলোয়ার হোসেনকে কারাগারে পাঠান। গত ২৪ জুলাই তাঁর জামিন মঞ্জুর করেন হাইকোর্ট। এরপর ৫ আগস্ট মুক্তি পান তিনি।তোবা গ্রুপের অধীন পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের ১৬০০ কর্মী তিন মাসের বকেয়া বেতন-ভাতা ও ঈদ বোনাসের দাবিতে ১১ দিন থেকে অনশন করে আসছেন। আজ বেলা দেড়টার দিকে রাজধানীর বাড্ডার হোসেন মার্কেটে তোবা গ্রুপের তিনটি পোশাক কারখানা থেকে অনশনরত শ্রমিকদের পিটিয়ে বের করে দেয় পুলিশ।অনশনরত শ্রমিকদের অভিযোগ, দেলোয়ার মুক্তি পেলে তাঁদের বেতন-ভাতা পরিশোধ হবে, মালিকপক্ষ এমন প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসছিল। সে কারণে দেলোয়ারের মুক্তি দাবিতে তাঁদের দিয়ে মিছিলও করানো হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। বিজিএমইএ শ্রমিকদের মে ও জুন মাসের বেতন দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। সেই অনুসারে বেশ কিছু শ্রমিক গতকাল ও আজ বেতনও নেন। তবে বাকিরা তিন মাসের বকেয়া বেতন-ভাতা এক সঙ্গে দেওয়ার দাবি জানিয়ে যাচ্ছেন।
82,959
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
০২ আগস্ট ২০১৬, ২০:২৬
০২ আগস্ট ২০১৬, ২০:২৭
অপরাধ
0
সাপের বিষসহ আটক ১
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/933484
প্রায় ১২ কোটি টাকা মূল্যের সাপের বিষসহ চুয়াডাঙ্গায় এক ব্যক্তিকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। আজ মঙ্গলবার দুপুরে ৬ বিজিবি চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন সদস্যরা অভিযান চালিয়ে দুই পাউন্ড কোবরা সাপের বিষসহ মো. সোহেল (৪০) নামের এক ব্যক্তিকে আটক করেছে। সদর উপজেলার নীলমনিগঞ্জ বাজারের একটি চালকলের কার্যালয় থেকে ওই ব৵ক্তিকে আটক করা হয়।আটক সোহেল সদর উপজেলার মোমিনপুর ইউনিয়নের বোয়ালমারী গ্রামের মৃত হারুণ অর রশিদের ছেলে। ৬ বিজিবি চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়নের পরিচালক আমির মজিদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আটক করা সাপের বিষের দাম প্রায় ১২ কোটি টাকা।সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তোজাম্মেল হক জানান, ওই ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে।
245,612
অনলাইন ডেস্ক
sports
খেলা
১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৪, ২১:১১
১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৪, ২১:১৩
আন্তর্জাতিক ফুটবল
0
মেয়েদের মন জেতা হবে তো রোনালদিনহোর!
http://www.prothom-alo.com/sports/article/323509
বুড়ো হাতির দামও তো লাখ টাকা। রোনালদিনহোর মাপের ফুটবলার আসছে, মেক্সিকোতে তাই শোরগোলই পড়ে গিয়েছিল। দুইবারের ফিফা বর্ষসেরা অবশ্য মজা করে বলেছিলেন, মেক্সিকোতে শুধু ট্রফি নয়, মেয়েদের মনও জিততে এসেছেন। তবে শুরুটা যেমন হলো, তাতে মেয়েদের মন জেতা তো দূরের কথা, দর্শকদের দুয়োই শুনতে হলো। অভিষেকে সাবেক বার্সা তারকার দল হেরেছে বলেই নয়, পেনাল্টি থেকে গোল করার সুযোগও নষ্ট করেছেন এই প্লে মেকার।৩৪ বছর বয়সী রোনালদিনহোকে এবার কিনে নেয় কুয়েরেতারো এফসি। কর্ম-অনুমোদন পাওয়ার জটিলতায় আটকে ছিল মাঠে নামা। রোনালদিনহোকে ঠেকাতে ডিফেন্ডাররা নেকড়ের মুখোশ পরে অনুশীলন করছে, এমন খবরও মিলছিল। অবশেষে গতকাল নিজেদের মাঠে অভিষেক হয় রোনির। কিন্তু প্রথম ম্যাচের স্নায়ু দুর্বলতাতেই কি না, পেনাল্টিটা একেবারে বারের অনেক ওপর দিয়েই মারলেন। সেই ‘অপরাধ’ শুধরে নেওয়ার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেই চেষ্টাও সফল হয়নি। টাইগার্সের বিপক্ষে তাঁর দল হেরেছে ১-০ গোলে।
94,174
রুহুল বয়ান, মহেশখালী
bangladesh
বাংলাদেশ
১১ আগস্ট ২০১৬, ০০:২১
১১ আগস্ট ২০১৬, ০০:২১
আমার চট্টগ্রাম
0
মহেশখালীর সংরক্ষিত বনের পাশে ২৪টি অবৈধ করাতকল
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/942082
সংরক্ষিত বনের ১০ কিলোমিটারের মধ্যে করাতকল স্থাপনের নিয়ম না থাকলেও মহেশখালীতে এই নিয়ম মানা হচ্ছে না। উপজেলার ২৯টি করাতকলের মধ্যে ২৪টিরই অবস্থান বনের পাঁচ শ মিটার থেকে দুই কিলোমিটারের মধ্যে। অবৈধ এসব করাতকলের লাইসেন্স নেই। এসব করাতকলে বনের গাছ চেরাই করে স্থানীয় প্রভাবশালী লোকজন বাইরে পাচার করছে বলে অভিযোগ রয়েছে।বন বিভাগের মহেশখালীর রেঞ্জ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার পৌরসভা, বড় মহেশখালী, হোয়ানক, কালারমারছড়া, শাপলাপুর, কুতুবজোম ও মাতারবাড়ীতে সব মিলিয়ে করাতকল রয়েছে ২৯টি। তার মধ্যে লাইসেন্স আছে কেবল পাঁচটির। বাকি ২৪টি করাতকলে কোনো লাইসেন্স নেই।বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, মহেশখালীর প্রায় ১৮ হাজার একর সংরক্ষিত বনের মধ্যে বেশির ভাগই অবৈধ দখলে চলে গেছে। বন বিভাগের নিয়ন্ত্রণে আছে এমন আট হাজার একর সংরক্ষিত বনেরও রক্ষণাবেক্ষণ করা যাচ্ছে না লোকবলের অভাবে। ফলে বনের গাছ চুরি ঠেকানো যাচ্ছে না। বন থেকে কেটে আনা এসব গাছ বনের পাশে অবস্থিত অবৈধ করাতকলে এনে চেরাই করে পাচার করা হয়। পাচার ঠেকাতে গত দুই বছর আগে বন বিভাগ অভিযান চালিয়ে ১০টি অবৈধ করাত কল উচ্ছেদ করেছিল। কিন্তু উচ্ছেদের পরপর আবারও করাতকলগুলো আগের জায়গায় স্থাপন করা হয় বলে অভিযোগ আছে।সম্প্রতি বড় মহেশখালী, হোয়ানক, কালারমারছড়া ও শাপলাপুর এলাকায় গিয়ে ১৮টি করাতকল পাওয়া গেছে, যেগুলোর অবস্থান সংরক্ষিত বনের আধা থেকে এক কিলোমিটারের মধ্যে। কালামার ছড়া বাজারের উত্তর পাশেই জালাল আহমদ স মিলের অবস্থান। এই করাতকলের চার শ মিটার দূরেই সংরক্ষিত বন। করাত কলটিতে গিয়ে দেখা গেছে গর্জন, আকাশমণি, গামারিসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ স্তূপ করে রাখা হয়েছে। কয়েকজন শ্রমিক যন্ত্রচালিত করাতে গাছ চেরাই করছিলেন। কর্মরত শ্রমিক আলি আহমদকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, স্থানীয় লোকজন এসব গাছ চেরাই করতে এখানে নিয়ে এসেছেন। তাঁরা কেবল টাকার বিনিময়ে গাছগুলো চেরাই করছেন। এর বেশি কিছু তাঁরা জানেন না।এদিকে অবৈধ গাছ পাচার রোধে চেকপোস্ট বসিয়ে কাঠ বহনকারী গাড়ি তল্লাশির কোনো ব্যবস্থা নেই বন বিভাগের। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে, মহেশখালীর রেঞ্জ কর্মকর্তা আবুল হাসেম ভূঁইয়া বলেন, কাঠবাহী গাড়ি তল্লাশির জন্য উপজেলায় বন বিভাগের কোনো চেকপোস্ট নেই। একটি চেকপোস্ট বসানোর বিষয়ে বিভাগীয় কার্যালয়ে আবেদন করা হবে। বিভাগীয় বন কর্মকর্তার অনুমোদ পেলে তল্লাশি কার্যক্রম পরিচালিত হবে। রেঞ্জ কর্মকর্তা আবুল হাসেম ভূঁইয়া আরও বলেন, ২৪টি অবৈধ করাতকল উচ্ছেদ করার জন্যও তাঁরা উদ্যোগ নিচ্ছেন। এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম বিভাগীয় বন কর্মকর্তার বরাবরে আবেদনও করা হয়েছে। শিগগিরই অবৈধ করাতকলগুলো উচ্ছেদ করার জন্য অভিযান চালানো হবে।বন বিভাগের কক্সবাজারের উপকূলীয় সহকারী বন সংরক্ষক জি এম কবির বলেন, দুই বছর আগে কয়েক দফা অভিযান চালিয়ে ১০টি অবৈধ করাতকল উচ্ছেদ করা হয়েছে। কিন্তু কিছুদিন যেতে না যেতেই ওই স্থানে প্রভাবশালী ব্যক্তিরা আবারও করাতকল স্থাপন করে। অচিরেই এসব করাতকল স্থায়ীভাবে বন্ধ করার জন্য অভিযান পরিচালনা করা হবে।
248,860
নিজস্ব প্রতিবেদক
bangladesh
বাংলাদেশ
১৯ এপ্রিল ২০১৭, ২১:০৩
১৯ এপ্রিল ২০১৭, ২১:০৪
সরকার
0
ফৌজদারি মামলার কারণ ভূমি ও নারী: আইনমন্ত্রী
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1150746
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ফৌজদারি মামলার দুটি কারণ। একটি ভূমি, আরেকটি নারী। আজ বুধবার সাভারে বাংলাদেশ লোকপ্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে সাব-রেজিস্ট্রারদের বিশেষ বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কর্মসূচির সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফৌজদারি আইনবিদ হিসেবে তিনি এ কথা বলেন। দুই মাস মেয়াদি এই প্রশিক্ষণে ২৯ জন সাব-রেজিস্ট্রার অংশ নেন। প্রশিক্ষণের আলোকে জনগণকে উন্নত সেবা দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, সারা বিশ্বের মানুষ দুটি বিষয় গুরুত্ব দেয়। জীবন ও ভূমি। ভূমির সঙ্গে কেবল অর্থের সম্পর্ক নয়। এটির সঙ্গে পরিচয়েরও বিরাট সম্পর্ক রয়েছে। মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়। অনুষ্ঠানের পর সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কোনো মেয়ে ১৮ বছরের আগে ও কোনো ছেলে ২১ বছরের আগে বিয়ে করতে পারবেন না। এটা হচ্ছে আইন। আইনের ‘এক্সেপশন’ থাকে। অনেক সময় জরুরি অবস্থা মোকাবিলা করতে একটা বিধান থাকে। সে রকমভাবে এই আইনেও একটা বিধান আছে। এটা ‘রুল’ না। জরুরি অবস্থায় অভিভাবক ও আদালত দুইয়ের সম্মতিতে জরুরি অবস্থার কারণে একটা মেয়ে ও ছেলে বিয়ে হতে পারে। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব মোহাম্মদ শহিদুল হক, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব আবু সালেহ শেখ মো. জহিরুল হক প্রমুখ।
312,170
ইকবাল খান
education
শিক্ষা
০৮ মে ২০১৪, ০১:৪১
০৮ মে ২০১৪, ০১:৪৪
পড়াশোনা
0
ইংরেজি
http://www.prothom-alo.com/education/article/210880
লেসন-২৮(এ)প্রিয় শিক্ষার্থী, আজ ইংরেজি বিষয় থেকে পাঠ্যবই বহির্ভূত প্যাসেজের প্রশ্নোত্তর দেওয়া হলো।Read the text and answer the questions 1, 2 and 3. Laila and Bithi are friends. They have many things in common. For example, both of them like to listen to music and play chess. But Laila likes to do active things, too. She likes to go out with friends and play games. On the other hand, Bithi is a quiet person. She likes doing quiet things like painting and reading. She especially loves to read stories about other lands and other people.Bithi loves to read books. But she cannot always buy books for their prices. She has found out that there is a library at their Town Hall and that it has a section on children’s books too. Bithi is very excited. She goes to the library one morning. She goes to the reception counter and asks the lady there, “Good morning, Ma’am! can I borrow some books from your library?” The librarian smiles at Bithi and says affectionately, “Of course, you can. But to do so, you must become a member of the library first. You must have a library card.”1. Write answer from the alternatives.i. What is Bithi fond of?(a) Reading books (b) Writing stories (c) Swimming (d) Going out ii. How does Bithi like to do things?(a) Loudly (b) Haphazardly (c) Silently (d) Openlyiii. What does she especially like most?(a) Drama (b) Poems (c) Novels (d) Short stories iv. What is the text about?(a) How to go to a library (b) How to become a library member(c) How to buy books (d) How to read books v. What is the relationship between Laila and Bithi?(a) Cousins (b) Friends (c) Enemy (d) Sisters vi. What kind of person is Laila?(a) Active (b) Quiet (c) Lazy (d) Inactive vii. Where is the library?(a) Near school (b) Near home (c) Near bus stop (d) At Town Hall viii. Where does Bithi get the information in the library?(a) Reception desk (b) Reception counter(c) Counter (d) Reception floor ix. How was the behaviour of the librarian?(a) Harsh (b) Cold (c) Affectionate (d) Rude x. What does the librarian give Bithi?(a) A blank card (b) A book list (c) A book (d) A leaflet.শিক্ষক, বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ পাবলিক কলেজ, ঢাকা# পরবর্তী অংশ ছাপা হবে আগামীকাল
71,620
-1
bangladesh
বাংলাদেশ
২৩ অক্টোবর ২০১৪, ০১:১০
২৩ অক্টোবর ২০১৪, ০১:১১
খুলনা বিভাগ,মহানগর
0
খুলনায় আজ
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/351463
সুশীলন: সংবাদ সম্মেলন, বেলা ১১টায়, খুলনা প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে।
103,053
নিজস্ব প্রতিবেদক
bangladesh
বাংলাদেশ
০৯ অক্টোবর ২০১৪, ১৮:২৮
০৯ অক্টোবর ২০১৪, ১৮:২৯
আইন ও বিচার
0
কানুনগো মোহাম্মদ আলীর জামিন স্থগিত
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/339262
দুর্নীতির এক মামলায় অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের কানুনগো মোহাম্মদ আলীর জামিন মঞ্জুর করে দেওয়া আদেশ চার সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেছেন চেম্বার বিচারপতি।আজ বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের অবকাশকালীন চেম্বার বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা এ আদেশ দেন।চলতি মাসের ১ তারিখ হাইকোর্ট মোহাম্মদ আলীসহ এই মামলার তিনজনের জামিন মঞ্জুর করেছিলেন। এর মধ্যে মোহাম্মদ আলী ছাড়া অপর দুজনের জামিন আজ বহাল রেখেছেন আদালত। এই দুজন হলেন সিটি করপোরেশনের এস্টেট সার্ভেয়ার বাচ্চু মিয়া ও এস্টেট কর্মকর্তা মোহসীন উদ্দিন।হাইকোর্টের ওই আদেশ স্থগিত চেয়ে গতকাল বুধবার দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) আবেদনটি করে। আদালতে আজ দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। আর আসামিপক্ষে ছিলেন শফিক আহমেদ ও শ ম রেজাউল করিম।খুরশীদ আলম খান বলেন, মোহাম্মদ আলীর জামিন চার সপ্তাহের জন্য স্থগিত ও অপর দুজনের জামিন বহাল রেখেছেন চেম্বার বিচারপতি।গত ২৮ সেপ্টেম্বর দুর্নীতির এ মামলায় মোহাম্মদ আলী সেজে (প্রক্সি) আত্মসমর্পণ করতে যান আলী আহম্মেদ নামের এক ব্যক্তি। বিষয়টি ধরা পড়ার পর মোহাম্মদ আলী নিজেও আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে আদালত তা নাকচ করে তাঁকেও কারাগারে পাঠান।আদালত সূত্র জানায়, ২৮ সেপ্টেম্বর ওই মামলার তিন আসামি আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। জামিনের শুনানির সময় দুর্নীতি দমন কমিশনের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন আসামিদের কাছে তাঁদের পরিচয় জানতে চান। বিচারক একপর্যায়ে জানতে চান, আসামি মোহাম্মদ আলী কে? জবাবে কাঠগড়ায় থাকা তিনজনের একজন নিজেকে মোহাম্মদ আলী বলে পরিচয় দেন। কিন্তু আদালতের জেরার মুখে ওই ব্যক্তি স্বীকার করেন, তিনি মোহাম্মদ আলী নন, আলী আহম্মেদ। এরপর আদালত বাচ্চু মিয়া ও মোহসীনের জামিনের আবেদন বাতিল করে তাঁদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। আর আসামি সেজে জামিন চাওয়ায় আলী আহম্মেদের বিরুদ্ধে মামলা করার নির্দেশ দেন। আদেশ শুনে আলী আহম্মেদ কাঠগড়ায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে আদালতকক্ষের একটি বেঞ্চে ঘণ্টা খানেক শুইয়ে রাখা হয়। সুস্থ হওয়ার পর বিকেলে তাঁকে মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে পাঠানো হয়। আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।এদিকে আলী আহম্মেদের আসামি সাজার বিষয়টি ধরা পড়ার পর আসামি মোহাম্মদ আলী আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। আদালত আবেদন নাকচ করে তাঁকেও কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।পুলিশের অপরাধ তদন্ত ও প্রসিকিউশন বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার আনিসুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, প্রক্সির ঘটনায় মূল আসামি মোহাম্মদ আলী ও আলী আহম্মেদকে আসামি করে জালিয়াতির অভিযোগে মামলা হয়েছে। আদালত সূত্র জানায়, এই মামলায় ওই তিন আসামি গত ২৭ আগস্ট হাইকোর্ট থেকে জামিন পান। ওই জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় ২৮ সেপ্টেম্বর তাঁরা নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। আলী আহম্মেদও সিটি করপোরেশনের কানুনগো ছিলেন।ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির মাধ্যমে ডিসিসির জায়গা বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগে গত ২৪ আগস্ট দুদক শাহবাগ থানায় ওই তিনজনসহ আটজনের বিরুদ্ধে মামলাটি করে। মামলার অপর পাঁচ আসামির মধ্যে রয়েছেন ডিসিসির সাবেক মেয়র বিএনপির নেতা সাদেক হোসেন খোকা, সার্ভেয়ার মোতালেব হোসেন ও ফারুক হোসেন, অবসরপ্রাপ্ত সম্পত্তি কর্মকর্তা শাহাবুদ্দিন শাবু এবং সাবেক প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মশিয়ার রহমান।
99,102
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
bangladesh
বাংলাদেশ
১৩ এপ্রিল ২০১৬, ০২:০৯
১৩ এপ্রিল ২০১৬, ০২:১০
চট্টগ্রাম,চট্টগ্রাম বিভাগ
0
বাঁশখালীতে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে সেনাবাহিনীকে কাজে লাগানোর দাবি
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/828799
চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার গণ্ডামারা ইউনিয়নে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে সেনাবাহিনীকে কাজে লাগানোর দাবি জানিয়েছেন চট্টগ্রামের ৩৯ জন মুক্তিযোদ্ধা। গতকাল মঙ্গলবার বাঁশখালী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার সুভাষ আচার্য স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই দাবি জানানো হয়।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘বাঁশখালীর গণ্ডামারায় বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণ হলে চট্টগ্রামসহ গোটা দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। কর্মসংস্থান ও ব্যবসা-বাণিজ্যের ব্যাপক প্রসার ঘটবে। বেসরকারি উদ্যোগে এ ধরনের বড় বিনিয়োগের প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে চট্টগ্রামবাসীও গৌরবান্বিত হবে। কিন্তু এখানকার উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করতে চট্টগ্রামবিদ্বেষী কোনো মহল ষড়যন্ত্র করছে কি না, তা খতিয়ে দেখার অনুরোধ করছি।’বিবৃতিদাতাদের মধ্যে রয়েছেন বাঁশখালী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার সুভাষ আচার্য, মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল হাসান প্রমুখ।
219,852
বিনোদন প্রতিবেদক
entertainment
বিনোদন
২৫ অক্টোবর ২০১৭, ২২:২৬
২৫ অক্টোবর ২০১৭, ২২:২৮
-1
0
প্রেম ও সংগ্রামের গল্পে মুগ্ধ করলেন শাবানা-জাবেদ
http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/1351691
স্পট লাইট কখনো শাবানা আজমির ওপর, আবার কখনো জাবেদ আখতারের ওপর। মঞ্চের বামে চেয়ারে বসে যখন ভারতের প্রখ্যাত অভিনেত্রী শাবানা আজমি তাঁর মা শওকত কাইফির প্রেমের গল্প পড়ছিলেন, সামনে বসা দর্শকেরা বারবার উল্লসিত হচ্ছিলেন। শাবানার স্বামী প্রখ্যাত গীতিকবি জাবেদ আখতারও শ্বশুর কাইফি আজমির প্রেমের গল্প বলে মাতিয়ে চলছেন দর্শকদের। পাশাপাশি জীবনসংগ্রামের গল্পও শুনিয়েছেন তিনি।শাবানা আজমি ও তাঁর স্বামীর এমন পরিবেশনা আজ বুধবার স্বচক্ষে দেখার সুযোগ পেয়েছেন ঢাকার মাত্র কয়েক শ দর্শক। ব্লুজ কমিউনিকেশনসের আয়োজনে তাঁরা দুজন ‘কাইফি অউর ম্যায়’ আয়োজনে অংশ নিতে আজ দুপুরে ঢাকায় আসেন। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় ঢাকার ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে শুরু হওয়া পরিবেশনা দিয়ে উপস্থিত সবাইকে শুরু থেকে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত মুগ্ধতার আবেশে জড়িয়ে রাখেন।শাবানা আজমি ও জাবেদ আখতারের গল্প বলার ফাঁকে ছিল বিখ্যাত গজলশিল্পী জসবিন্দর সিংয়ের পরিবেশনা। তিনি গেয়েছেন কাইফি আজমির গজল ও বলিউডের জন্য তাঁর লেখা বেশ কিছু গান।অনুষ্ঠান শুরুর আগেই আয়োজক প্রতিষ্ঠান ব্লুজ কমিউনিকেশনসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরহাদুল ইসলাম বলেন, ‘রুচিশীল বিনোদনের মাধ্যমে দর্শক-শ্রোতাদের ব্যতিক্রম কিছু উপহার দেওয়াই থাকে আমাদের সব সময়ের প্রচেষ্টা। আমার বিশ্বাস, এসব আয়োজন মানুষের রুচি গঠনেও অবদান রাখবে।’আয়োজকদের এমন কথার সঙ্গে দ্বিমত করার কোনো জো নেই আগত দর্শকদের। নাট্যজন সারা যাকের একমত পোষণ করে বলেন, ‘পরিবেশনার মধ্যে জাদু আছে। শাবানা আজমি তো দারুণ।’শাবানা আজমি ও জাবেদ আখতারের পরিবেশনা সামনাসামনি বসে উপভোগ করতে আজ হাজির হয়েছিলেন বিশিষ্টজনের অনেকেই। তাঁরা কেউই উর্দু সাহিত্যের স্বনামধন্য কবি কাইফি আজমির ভালোবাসা ও জীবনসংগ্রামর গল্প এত কাছ থেকে দেখার সুযোগ হাতছাড়া করতে চাননি।কাইফি আজমির প্রেমের গল্পে যাঁরা আনন্দিত হয়েছেন, তাঁরাই আবার সংগ্রামের গল্পে কখনো কখনো ‘আহা’ বলে উঠেছেন। টানা দেড় ঘণ্টার পরিবেশনায় উঠে এসেছে কাইফির বেড়ে ওঠা, শওকতের সঙ্গে বিয়ে, মুম্বাইয়ে তাঁদের দিনগুলো, শ্রমিকদের সঙ্গে কাজ এবং কাইফির অসুস্থতার দিনগুলোর কথা।
342,305
সোহরাব হাসান
opinion
মতামত
২৪ জুলাই ২০১৭, ১১:৩৭
২৪ জুলাই ২০১৭, ১৩:৫৫
সোহরাব হাসান,রাজনীতি,লেখকের কলাম
null
ওবায়েদুল্লাহ সাহেবদের ‘অভূতপূর্ব’ হৃৎকম্পন!
http://www.prothom-alo.com/opinion/article/1263496
বঙ্গবন্ধুর ছবি বিকৃত করার অভিযোগে আগৈলঝাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বা ইউএনও (বর্তমানে বরগুনা সদর উপজেলায় কর্মরত) গাজী তারিক সালমনের বিরুদ্ধে বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ ওবায়েদুল্লাহর করা মানহানির মামলাটি নিয়ে এখন সারা দেশ তোলপাড়। যদিও গতকাল রোববারই বাদী মামলাটি প্রত্যাহার করে নিয়েছেন বা নিতে বাধ্য হয়েছেন।এর আগে মামলার বাদী ওবায়েদুল্লাহকে দল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে দলের কেন্দ্রীয় কমিটি। ১৫ দিনের মধ্যে তাঁকে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে। ইতিমধ্যে এই সিদ্ধান্তকে অভিনন্দন জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ। সিদ্ধান্তটি বিপরীত হলেও তাঁরা অভিনন্দন জানাতে কার্পণ্য করতেন না।এ ক্ষেত্রে গাজী তারিক সালমনকে ভাগ্যবানই বলতে হবে। আওয়ামী লীগ নেতার করা মামলার আসামি হয়ে দুই ঘণ্টা জেলহাজতে থেকে তিনি রীতিমতো বীর বনে গেছেন। প্রশাসন তাঁর পক্ষে দাঁড়িয়েছে, ক্ষমতাসীন দল তাঁর পক্ষে অবস্থান নিয়ে বাদীকে দল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে। বাদী মামলা প্রত্যাহার করে ‘মহানুভবতার’ পরিচয় দিয়েছেন। এ রকম মহানুভব ব্যক্তির সংখ্যা আওয়ামী লীগে কতজন, যাঁরা ঘটনা বা পরিস্থিতির অপব্যাখ্যা দিয়ে মামলা করে সাধারণ মানুষকে নাজেহাল করেন।প্রথম আলোয় প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়, ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে আগৈলঝাড়ায় যোগদানের পর তারিক সালমন বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষায় অনিয়ম, টিআর, কাবিখা প্রকল্পে দুর্নীতি রোধ ও ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের দখলবাজির বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নেওয়ার কারণে স্থানীয় আওয়ামী লীগের একাংশ তাঁর প্রতি ক্ষুব্ধ ছিল। আর সেই ক্ষোভ থেকেই এই মামলা। গাজী তারিক সালমনও বলেছেন, মামলার বাদী ওবায়েদুল্লাহর সঙ্গে তাঁর কোনো বিরোধ ছিল না। তিনি তাঁকে চিনতেনও না।গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, গত স্বাধীনতা দিবসের আমন্ত্রণপত্রে ইউএনও পঞ্চম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর আঁকা বঙ্গবন্ধুর ছবিটি ব্যবহার করেন। আর এটাই তাঁর বিরুদ্ধে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা। আদালতে মামলার আগে গত এপ্রিল মাসেই প্রশাসন ক্যাডারের দুই কর্মকর্তা বরিশালের তৎকালীন বিভাগীয় কমিশনার মো. গাউস এবং বর্তমান জেলা প্রশাসক গাজী মো. সাইফুজ্জামান ইউএনও গাজী তারিক সালমনের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্যোগ নেন। এ জন্য প্রথমে তারিক সালমনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন বরিশালের জেলা প্রশাসক। তারিক নোটিশের জবাবও দেন। পরে সেই জবাব যায় বিভাগীয় কমিশনারের কাছে। কিন্তু বিভাগীয় কমিশনার নোটিশের জবাবে সন্তুষ্ট না হয়ে সেটি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠিয়ে দেন।কিন্তু প্রশাসনের এই ‘মৃদু পদক্ষেপ’ বরিশাল আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ ওবায়েদুল্লাহকে মোটেই আশ্বস্ত করতে পারেনি। তিনি গত ৭ জুন বরিশাল মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে পাঁচ কোটি টাকার মানহানির মামলা করেন। বিচারক ২৭ জুলাইয়ের মধ্যে তারিক সালমনকে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়ে সমন জারি করেন। ইতিমধ্যে বরগুনায় বদলি হওয়া ইউএনও তারিক সালমন গত বুধবার আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে আদালত প্রথমে তা নামঞ্জুর করেন এবং পুলিশ ইউএনওকে দুই হাত ধরে আদালতের হাজতখানায় নিয়ে যায়।অবশ্য দুই ঘণ্টা পর তাঁর জামিন মঞ্জুর করা হয়। গত জুনের প্রথম সপ্তাহেই তারিক সালমনকে বরগুনা সদর উপজেলায় বদলি করা হয়েছিল। সে ক্ষেত্রে এটি জোর দিয়ে বলা যাবে না যে তারিক সালমনের বদলির সঙ্গে এই মামলার কোনো সম্পর্কই নেই।ইউএনও তারিক সালমনকে কারাগারে পাঠানোর ঘটনাটি প্রশাসনের কর্মকর্তাদের দারুণভাবে ক্ষুব্ধ করে। বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন জরুরি সভা করে মানহানিকর আদেশ প্রদান, পুলিশের ‘আইনবহির্ভূত’ কার্যক্রম এবং সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি অনুরোধ জানায়। গত শুক্রবার ঢাকায় সরকারি কর্মকর্তাদের আরেকটি সভায়ও ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়।প্রকৃত ঘটনা হলো, আগৈলঝাড়া উপজেলায় ইউএনও থাকাকালে তাঁর কিছু সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ ছিলেন স্থানীয় কিছু জনপ্রতিনিধি ও আওয়ামী লীগের নেতা। ওই সময় তিনি স্থানীয় এক প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতার ছেলেকে ডিগ্রি পরীক্ষায় বহিষ্কার করেন। ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে কারাদণ্ড দেওয়াসহ কিছু ঘটনায় ক্ষুব্ধ ছিল স্থানীয় একটি পক্ষ। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. মোজাম্মেল হক খানের মতে, ওই কর্মকর্তার সঙ্গে আইনের আবরণে অন্যায় কাজ হয়েছে। পুলিশের আচরণও বাড়াবাড়ি মনে হয়েছে।মামলাটি নিঃসন্দেহে উদ্দেশ্যমূলক। কিন্তু এই মামলার আসামি প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা না হয়ে যদি একজন সাধারণ নাগরিক বা অন্য পেশার মানুষ হতেন, তাহলে কি ফল একই হতো? আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব কি এত ত্বরিত বাদীর বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত নিত? নিকট অতীতের ঘটনাগুলো তা প্রমাণ করে না। অধিকাংশ ক্ষেত্রে এসব মানহানি মামলার বাদীরা বাহবা পেয়ে থাকেন।বরিশাল আওয়ামী লীগ নেতা ওবায়েদুল্লাহ তাঁর মামলার এজাহারে বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর বিকৃত ছবি দেখে নাকি তাঁর হৃৎকম্পন শুরু হয়েছিল। আওয়ামী লীগে এ রকম হৃৎকম্পন জাগা নেতার অভাব নেই। ওবায়েদুল্লাহ সাহেবের হৃৎকম্পন আপাতত বন্ধ হয়েছে। কিন্তু মামলাবাজ অন্য নেতাদের কথিত হৃৎকম্পন বন্ধ করবে কে?ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহ্ফুজ আনামের টিভি টক শোতে দেওয়া একটি বক্তব্য নিয়ে আওয়ামী লীগ মহলে শোরগোল উঠল। সেই বক্তব্যে দলের স্থানীয় পর্যায়ের নেতাদের এমনই হৃৎকম্পন দেখা দিল যে তাঁরা তাঁর বিরুদ্ধে ৭০টির বেশি মানহানির মামলা ঠুকে দিলেন। আর মাহ্‌ফুজ আনামকে প্রতিটি মামলায় আদালতে হাজিরা দিয়ে জামিন নিতে হয়েছে। তার আগে প্রথম আলোয় পাওয়ার টিলার কেনায় অনিয়ম নিয়ে খবর ছাপা হওয়ায় প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমানের বিরুদ্ধেও দেশের বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগের হৃৎকম্পন জাগা নেতারা মামলা করলে তাঁকেও আদালতে গিয়ে জামিন নিতে হয়।গাজী তারিক সালমন প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা বলেই বাদীর হৃৎকম্পন কয়েক দিনের ব্যবধানে থেমে গেছে। স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ইউএনও হয়রানি ঘটনার তিনি শেষ দেখে নেবেন। কিন্তু অন্যদের হয়রানি করা মামলাগুলোর কী হবে?গাজী তারিক সালমনের ঘটনায় প্রমাণিত হলো যে ওবায়েদুল্লাহদের হৃৎকম্পন জাগলে সাধারণ মানুষের জীবন বিপন্ন হয়ে ওঠে। তাই ওবায়েদুল্লাহ সাহেবদের বাড়তি হৃৎকম্পনটা বন্ধ হওয়া জরুরি।আওয়ামী লীগে হৃৎকম্পন জাগা নেতার সংখ্যা কত, জানালে বাধিত হব।
328,315
লালমনিরহাট প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
৩০ আগস্ট ২০১৩, ০২:৪৩
৩০ আগস্ট ২০১৩, ০২:৪৪
লালমনিরহাট,দুর্ঘটনা,রংপুর বিভাগ,বিশাল বাংলা
0
প্রতিমন্ত্রীর প্রটোকল ভ্যান উল্টে খাদে আহত ৩
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/43218
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার ভোটমারী এলাকায় গত বুধবার বিকেলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মোতাহার হোসেনের প্রটোকল পুলিশ ভ্যান উল্টে খাদে পড়ে যায়। এ সময় প্রতিমন্ত্রীর এপিএস আবু বক্কর সিদ্দিক শ্যামল ও পুলিশের তিন সদস্য আহত হন।একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, প্রতিমন্ত্রী হাতীবান্ধা উপজেলা থেকে লালমনিরহাট সদর উপজেলায় যাওয়ার পথে ওই এলাকায় ‘সড়ক গতি নিয়ন্ত্রক’ পার হতে গিয়ে প্রটোকল পুলিশ ভ্যান খাদে পড়ে যায়। আহতদের মধ্যে পুলিশের দুই সদস্য হেলাল উদ্দিন ও নজরুল ইসলামের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। তাঁদের রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।হাতীবান্ধা থানার উপপরিদর্শক আনিছুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আবু বক্কর সিদ্দিক প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
12,917
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
bangladesh
বাংলাদেশ
১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ২০:১১
১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৬:০৮
রাজনীতি,চট্টগ্রাম
0
ঐক্যবদ্ধ থাকার ঘোষণা মেয়র ও সিডিএ চেয়ারম্যানের
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1557947
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম নগরের চারটি আসনের সব কটি শেখ হাসিনাকে উপহার দিতে এবং উন্নয়ন কর্মকাণ্ড প্রচারের স্বার্থে ঐক্যবদ্ধ থাকার ঘোষণা দিয়েছেন দুই আওয়ামী লীগ নেতা। তাঁরা হলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন এবং চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) চেয়ারম্যান ও দলের কোষাধ্যক্ষ আবদুচ ছালাম। তবে দুই নেতাকে সতর্ক করেছেন ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী। নগরের জলাবদ্ধতা নিরসন ও উড়ালসড়ক নির্মাণ প্রকল্পসহ বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড নিয়ে দুই নেতার মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। সমন্বয়হীনতার কারণে নগরে পরিকল্পিত উন্নয়ন হচ্ছে না বলে একাধিকবার অভিযোগও করেছিলেন মেয়র আ জ ম নাছির। আজ সোমবার সকালে চট্টগ্রাম নগর ভবনের সম্মেলন কক্ষে দুই প্রতিষ্ঠান প্রধানের মধ্যে সমন্বিত সভা অনুষ্ঠিত হয়। চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বেলা ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত প্রায় দেড় ঘণ্টা এই সভা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী। সভায় দুই নেতাকে সতর্ক করে মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘সিটি মেয়র ও সিডিএ চেয়ারম্যানকে সতর্ক করে দিতে চাই, চট্টগ্রামের উন্নয়ন ব্যাহত হলে দেশের উন্নয়ন ব্যাহত হবে। দুজনকে হুঁশিয়ার করে দিচ্ছি, জনগণের প্রতি আপনাদের দায়বদ্ধ থাকতে হবে।’ গত ২১ জুন নগর আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির সভায় জলাবদ্ধতা নিয়ে দুই নেতার মধ্যে তুমুল বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। এর তিন দিন পর সিটি করপোরেশনের সমন্বয় সভায় আমন্ত্রণ জানানো হলেও উপস্থিত হননি সিডিএ চেয়ারম্যান। আজকের সভায় মেয়র আ জ ম নাছির দাবি করেন, তাঁদের মধ্যে কোনো সমন্বয়হীনতা ছিল না। কেউ কেউ ধারণা করেন, মেয়র এবং সিডিএ চেয়ারম্যানের কর্মকাণ্ড যদি প্রশ্নবিদ্ধ করা যায়, তাহলে সরকারকেও প্রশ্নবিদ্ধ করা যাবে। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ চট্টগ্রাম নগরের চলমান উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। তারা সব সময় তা করে। তবে প্রতিপক্ষ যাতে এই সুযোগ না পায়, সে ব্যাপারে আওয়ামী লীগ সতর্ক আছে। সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন উল্লেখ করে মেয়র আ জ ম নাছির বলেন, ‘আমরা (মেয়র ও সিডিএ চেয়ারম্যান) সরকারেও আছি। সুতরাং সরকারের ধারাবাহিকতা যাতে বজায় থাকে, সে লক্ষ্যে একসঙ্গে কাজ করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। চট্টগ্রাম নগরের প্রত্যেকটি আসন যাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উপহার দিতে পারি, সেটাই আমাদের লক্ষ্য।’ আওয়ামী লীগের কর্মী হওয়ার কারণে সিডিএ চেয়ারম্যান হয়েছেন বলে মন্তব্য করেন আবদুচ ছালাম। তিনি বলেন, ‘নগর আওয়ামী লীগের সঙ্গে দূরত্বের কোনো সুযোগ নেই। আমি শুরু থেকেই দলকে প্রাধান্য দিয়ে আসছি।’ তিনি বলেন, ‘ষড়যন্ত্রকারীদের কোনো সুযোগ দেওয়া যাবে না। যারা অপপ্রচার চালাচ্ছে, মানুষকে বিভ্রান্ত করছে, তাঁদের এ সভা থেকে বার্তা দিতে চাই, উই আর ইউনাইটেড (আমরা ঐক্যবদ্ধ)।’ সভায় সিডিএ চেয়ারম্যান জানান, কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণসহ বিভিন্ন সরকারি সংস্থার মাধ্যমে চট্টগ্রাম নগরে ৫০ হাজার কোটি টাকার উন্নয়নকাজ চলছে। এর মধ্যে সিডিএ করছে ২০ হাজার কোটি টাকার কাজ। সিডিএ, সিটি করপোরেশন, রেলওয়ে, ওয়াসাসহ সরকারি সংস্থাগুলো যেসব উন্নয়ন করছে, তা আওয়ামী লীগের ঝুড়িতে আনতে হবে। উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের কারণে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেননি তিনি। তবে তা কীভাবে কমানো যায়, তা নিয়ে সচেষ্ট আছেন বলে জানান সিডিএ চেয়ারম্যান। নিজেদের প্রয়োজনেই দুই নেতার ঐক্য টিকে থাকবে বলে প্রথম আলোকে জানিয়েছেন নগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি খোরশেদ আলম। তিনি বলেন, সামনের নির্বাচন বাঁচামরার লড়াই। আওয়ামী লীগ না এলে তো তাঁরা কেউই দায়িত্বে থাকবেন না। সভা শেষে মেয়র আ জ ম নাছির সাংবাদিকদের বলেন, সমন্বয়হীনতার কারণে জনদুর্ভোগ হচ্ছে—এ বক্তব্য সঠিক নয়। তবে জনদুর্ভোগ হচ্ছে, এটা অস্বীকার করার উপায় নেই। পুরোনো শহর হওয়ায় এই দুর্ভোগ হচ্ছে। সমন্বিত সভায় বক্তব্য দেন সভায় নগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি খোরশেদ আলম ও আলতাফ হোসেন প্রমুখ। ১৪ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের সভায় খোরশেদ আলম সুজন মেয়রের সঙ্গে টেলিফোনে সিডিএ চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ করে দেন। এরপর সমন্বিত সভার সিদ্ধান্ত হয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২০ সেপ্টেম্বর সিএমপি কমিশনার মো. মাহবুবর রহমান ও ওয়াসা চেয়ারম্যান প্রকৌশলী এ কে এম ফজলুল্লাহর সঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতারা বৈঠকে বসবেন।
376,981
টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
১৬ ডিসেম্বর ২০১৬, ১৪:২৩
১৬ ডিসেম্বর ২০১৬, ১৪:৫১
কক্সবাজার,চট্টগ্রাম বিভাগ,টেকনাফ
null
১৯ রোহিঙ্গা ও রোহিঙ্গাবোঝাই ছয় নৌকা ফেরত
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1040927
কক্সবাজার সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশের চেষ্টাকালে ১৯ জন রোহিঙ্গা ও রোহিঙ্গাবোঝাই ছয়টি নৌকা মিয়ানমারে ফেরত পাঠিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।গতকাল বৃহস্পতিবার রাত নয়টা থেকে আজ শুক্রবার সকাল সাতটার মধ্যে জেলার উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলার বিভিন্ন সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে ওই রোহিঙ্গারা অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালায়। এ সময় তাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়।উখিয়া সীমান্তের দায়িত্বে থাকা কক্সবাজার ৩৪ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল ইমরান উল্লাহ সরকার প্রথম আলোকে বলেন, উখিয়ার বিভিন্ন সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করা ১৯ জন রোহিঙ্গাকে আটক করে তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।টেকনাফ ২ বিজিবির উপ-অধিনায়ক মেজর আবু রাসেল ছিদ্দিকী বলেন, একই সময় টেকনাফের নাফ নদী দিয়ে রোহিঙ্গাবোঝাই ছয়টি নৌকা অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে। প্রত্যেকটি নৌকায় ১৫-১৮ জন করে রোহিঙ্গা ছিল। নৌকাগুলো মিয়ানমারের দিকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে চলমান সেনা অভিযানের মুখে সেখান থেকে পালাচ্ছে রোহিঙ্গারা।
274,544
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
০৩ মার্চ ২০১৬, ০২:৪৬
০৩ মার্চ ২০১৬, ০২:৫৫
নারায়ণগঞ্জ,ঢাকা বিভাগ,আইন ও বিচার
null
সাক্ষী না আসায় নূর হোসেনের অস্ত্র মামলার নতুন দিন
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/787525
কোনো সাক্ষী উপস্থিত না হওয়ায় নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুনের মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেনের বিরুদ্ধে তিন অস্ত্র মামলার নতুন তারিখ নির্ধারণ করেছেন আদালত। সাক্ষী না আসায় গতকাল বুধবার রাষ্ট্রপক্ষ সময়ের আবেদন জানায়। আদালত আবেদন মঞ্জুর করে আগামী ১৩ এপ্রিল সাক্ষ্য গ্রহণের পরবর্তী তারিখ দেন।এদিকে এর আগে নূর হোসেনকে বিভিন্ন মামলায় ডান্ডাবেড়ি, হাতকড়া ও হেলমেট পরিয়ে আদালতে আনা-নেওয়া হলেও গতকাল ডান্ডাবেড়ি পরানো হয়নি।অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি কে এম ফজলুর রহমান বলেন, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতে অভিযোগ গঠনের পর তিন মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করা হয়। গতকাল সেই ধার্য দিনে আদালতে কোনো সাক্ষী উপস্থিত না থাকায় রাষ্ট্রপক্ষ সময়ের আবেদন জানায়। আদালত আবেদন মঞ্জুর করে ১৩ এপ্রিল সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন।২০১৪ সালের এপ্রিল মাসে সাত খুনের ঘটনার পর এই মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেন ভারতে পালিয়ে গেলে সরকার তাঁর বৈধ অস্ত্রগুলোর লাইসেন্স বাতিল করে। পরে তাঁর সিদ্ধিরগঞ্জের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে পুলিশ বেশ কয়েকটি আগ্নেয়াস্ত্র, গুলি ও ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে বিশেষ ট্রাইব্যুনালে নূর হোসেনের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা করে। লাইসেন্স বাতিল হওয়ার পরও একটি অস্ত্র জমা না দেওয়া ও অবৈধ অস্ত্র রাখার অভিযোগে মামলাগুলো করা হয়।এদিকে গতকাল সাক্ষ্য গ্রহণের নির্ধারিত দিনে নুর হোসেনকে পায়ে ডান্ডাবেড়ি ছাড়াই আদালতে হাজির করা হয়। তবে হাতকড়া পরানো ছিল। ভারত থেকে দেশে ফিরিয়ে আনার পর থেকে বিভিন্ন মামলায় এ পর্যন্ত তাঁকে ডান্ডাবেড়ি, হাতকড়া ও মাথায় হেলমেট পরানো অবস্থায়ই আদালতে হাজির করা হয়েছে।এ ব্যাপারে কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মো. হাবিবুর রহমান বলেন, ‘বিষয়টি আমার নজরে পড়েনি। তবে কারাগার থেকে যেভাবে পাঠানো হয়েছে, সেভাবেই আদালতে হাজির করা হয়েছে।’নূর হোসেনকে ডান্ডাবেড়ি না পরিয়ে আদালতে হাজির করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাত খুনের দুটি মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন। তিনি বলেন, ‘নূর হোসেনের বিরুদ্ধে অর্ধডজনের মতো মামলা বিচারাধীন। একটি মামলায় তাঁর এক বছরের কারাদণ্ড হয়েছে। অথচ তাঁর পায়ে ডান্ডাবেড়ি পরানো হয়নি। তাঁকে জামাই আদরে ভিআইপির মতো আদালতে হাজির করা হয়েছে। প্রশাসন তাঁকে বিশেষ সুবিধা দিচ্ছে।’
207,192
নিজস্ব প্রতিবেদক
entertainment
বিনোদন
২১ মার্চ ২০১৬, ০০:০৫
২১ মার্চ ২০১৬, ০২:২৯
সংস্কৃতি
0
ঢাকার মঞ্চে রোমিও-জুলিয়েট
http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/805594
শেক্সপিয়ারের ৪০০তম মৃত্যুবার্ষিকীকে উপলক্ষ করে ঢাকায় মঞ্চস্থ হবে রোমিও-জুলিয়েট। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা ভবনে ২৮ ও ২৯ মার্চ নাটকটি প্রথমবারের মতো দেখতে পাবে দর্শক। একেবারে নতুন এক ভাবনা থেকে নাটকটি নির্দেশনা দিয়েছেন নাট্যজন নাসির উদ্দীন ইউসুফ ও যুক্তরাজ্যের গ্রায়ে থিয়েটারের আর্টিস্টিক ডিরেক্টর জেনি সিইলি। আয়োজনটি করছে ব্রিটিশ কাউন্সিল। গতকাল বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনারের বাসায় অনুষ্ঠিত একটি সংবাদ সম্মেলনে নাটকটি মঞ্চায়নের এ ঘোষণা দেয় প্রতিষ্ঠানটি।নতুন ভাবনা বলা হচ্ছে এ কারণে যে এ নাটকের কুশীলবেরা হচ্ছেন ১৪ জন মেধাবী প্রতিবন্ধী শিল্পী। সিআরপি-বাংলাদেশ, ব্র্যাক, ব্রিজ ও গ্রায়ে থিয়েটারের শিল্পীরা এ নাটক মঞ্চায়ন করবেন।সংবাদ সম্মেলনে প্যানেলের সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার অ্যালিসন ব্লেক, ব্রিটিশ কাউন্সিলের ডেপুটি ডিরেক্টর ম্যাট পিউসে, গ্রায়ে থিয়েটার কোম্পানির ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর জেনি সিইলি, ঢাকা থিয়েটারের প্রধান নাসির উদ্দীন ইউসুফ এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী।সংবাদ সম্মেলনে অ্যালিসন ব্লেক বলেন, ‘যুক্তরাজ্যের মহান লেখক শেক্সপিয়ার নিশ্চিত করেছিলেন যে তাঁর লেখা সবার কাছে বোধগম্য হবে। আমি আনন্দিত, ব্রিটিশ কাউন্সিল তাঁর ৪০০তম তিরোধানবর্ষকে স্মরণীয় করে রাখতে আরও এক ধাপ এগিয়ে তাঁরই এক অমর কীর্তির বাংলাদেশি রূপান্তর ঘটিয়েছে অন্য রকম “রোমিও ও জুলিয়েট” প্রযোজনার মধ্য দিয়ে। আমার বিশ্বাস এই প্রযোজনা শুধু শিল্প নয়, সব ক্ষেত্রেই আমাদের কাছে প্রেরণা হয়ে উঠবে।’ব্রিটিশ কাউন্সিল এ প্রকল্প বৈশ্বিকভাবে ছড়িয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে। ঢাকায় মঞ্চায়নের পরে আরও পাঁচটি শহরে এটি মঞ্চায়নের পরিকল্পনা রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির।
212,946
ময়মনসিংহ অফিস
bangladesh
বাংলাদেশ
৩০ ডিসেম্বর ২০১৬, ০০:৫২
৩০ ডিসেম্বর ২০১৬, ০০:৫৩
ময়মনসিংহ,ঢাকা বিভাগ,বিশাল বাংলা
0
বিদ্যালয়ে বিদ্যালয়ে উৎসবের আমেজ
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1049021
জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হওয়ায় ময়মনসিংহ শহরের বিভিন্ন বিদ্যালয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার ছিল উৎসবের আমেজ। গতকাল এসব পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়।গতকাল সকাল থেকেই ফলাফল জানার জন্য শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে ছুটে আসতে শুরু করে। কাঙ্ক্ষিত ফল পেয়ে অনেকেই আনন্দে মেতে ওঠে। শিক্ষক ও অভিভাবকেরাও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন।ময়মনসিংহ জিলা স্কুলেও বেলা ২টার দিকে একই রকম চিত্র দেখা যায়। বিদ্যাময়ী সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাছিমা আক্তার বলেন, একই দিনে জেএসসি, পিইসি ও স্কুলের অন্য ক্লাসের ফল প্রকাশ করায় সারা দিন স্কুলে উৎসবের আমেজ ছিল।বিদ্যাময়ী সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় থেকে জেএসসিতে অংশ নেয় ৩০০ জন শিক্ষার্থী। পাসের হার শতভাগ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৬৩ জন। বিদ্যাময়ীতে পিইসিতে শতভাগ উত্তীর্ণ হয়েছে। পিইসিতে বিদ্যাময়ী স্কুল থেকে ২৮৯ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়ে ২৮৫ জনই জিপিএ–৫ পেয়ে উত্তীর্ণ। পাসের হার শতভাগ।ময়মনসিংহ জিলা স্কুল থেকে জেএসসিতে ২৭৯ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়ে শতভাগ পাস করেছে। জিপিএ–৫ পেয়েছে ২৬৫ জন। জিলা স্কুল থেকে পিইসিতেও শতভাগ পাস জিপিএ–৫ পেয়েছে ১৪৫ জন। ময়মনসিংহ জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. ইউনুস ফারুকী বলেন, জেএসসি ও পিইসিতে শতভাগ পাস করায় আমরা আনন্দিত।খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শহরের ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল থেকে জেএসসিতে ২২৯ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়ে ২১৪ জন জিপিএ–৫ পেয়েছে। পাসের হার শতভাগ। প্রগেসিভ মডেল স্কুল থেকে জেএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয় ৩২৩ জন। শতভাগ উত্তীর্ণ হওয়া এই স্কুলের ১৬৩ জন পেয়েছে জিপিএ-৫। পিইসিতে প্রগ্রেসিভ মডেল স্কুল থেকে ২০৫ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়ে শতভাগ উত্তীর্ণ হয়েছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১২৩। প্রিমিয়ার আইডিয়াল হাইস্কুল থেকে জেএসসিতে ৩১৯ জন পরীক্ষার্থী মধ্যে ৩১৮ জনই পাস করেছে। পাসের হার ৯৯ দশমিক ৯৬। জিপিএ–৫ পেয়েছে ১৮৯ জন। প্রধান শিক্ষক চাঁন মিয়া আক্ষেপ করে বলেন, অসুস্থতার কারণে জেএসসিতে একজন শিক্ষার্থী অংশ নিতে না পারায় শতভাগ পাস হলো না। এই বিদ্যালয় থেকে পিইসিতে অংশ নিয়েছিল ২৬০ জন শিক্ষার্থী। পাসের হার শতভাগ। জিপিএ–৫ পেয়েছে ৭৯ জন।
278,743
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
bangladesh
বাংলাদেশ
০৩ জানুয়ারি ২০১৪, ০২:১৯
০৩ জানুয়ারি ২০১৪, ০২:২১
চট্টগ্রাম বিভাগ,বিশাল বাংলা,দূর্ঘটনা
0
চট্টগ্রামে অগ্নিকাণ্ড
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/114592
চট্টগ্রামে বুধবার গভীর রাতে বায়েজিদ থানাধীন পূর্ব নাসিরাবাদ ও কোতোয়ালি থানাধীন টেরিবাজার কাটাপাহাড় লেনে পৃথক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, বুধবার রাত দেড়টায় টেরিবাজার কাটাপাহাড় লেনে গাড়ির ব্যাটারি বিস্ফোরিত হয়ে একটি মাইক্রোবাসে আগুন ধরে যায়। সেখান থেকে আরও একটি মাইক্রোবাস ও মিনি কাভার্ড ভ্যানে আগুন ছড়িয়ে যায়। খবর পেয়ে নন্দনকানন ফায়ার সার্ভিসের দুটি গাড়ি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আগুন নেভায়। অগ্নিকাণ্ডে ছয় লাখ টাকার ক্ষতি হয়।এদিকে, একই রাত সোয়া ১২টার দিকে পূর্ব নাসিরাবাদে একটি মালামালের গুদামে আগুন লাগে। বৈদ্যুতিক গোলযোগ থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয় বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। বায়েজিদ ও আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিটের চারটি গাড়ি এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নেভাতে সমর্থ হয়। এখানে আগুনে দুই লাখ টাকার মালামাল পুড়ে যায়।
40,759
নিজস্ব প্রতিবেদক
bangladesh
বাংলাদেশ
১৫ মে ২০১৭, ০২:৩১
১৫ মে ২০১৭, ০২:৩২
-1
0
ধর্ষকদের বিচারে সরকারকে সক্রিয় হতে হবে
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1180816
বনানীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণসহ সারা দেশে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত লোকজনের দ্রুত বিচার ও কঠোর শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্র। গতকাল রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্র আয়োজিত মানববন্ধনে এ দাবি জানানো হয়। এতে বক্তারা বলেন, ধর্ষকদের আইনের আওতায় আনা এবং দ্রুত বিচারের জন্য সরকারকে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে। নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের সভাপতি নাসিমুন আরা হক বলেন, ‘একের পর এক ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদ, আসামিদের গ্রেপ্তার, বিচার ও শাস্তির দাবিতে এখানে দাঁড়িয়েছি। অত্যন্ত তীব্র ভাষায় নিন্দা জানাচ্ছি। আমরা ক্ষুব্ধ, আমরা ক্রুদ্ধ। আর মেনে নিতে পারছি না।’ নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের সহসভাপতি দিল মনোয়ারা মনু বলেন, ‘বিচার নিরপেক্ষ না হলে, অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনা সম্ভব না হলে, ধর্ষণের মতো অপরাধ দূর করা সম্ভব না।’সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক পারভীন সুলতানা বলেন, ‘আমরা মা দিবস উদ্যাপন করতে পারছি না। মা ও মায়ের সন্তানকে ধর্ষণ করা হচ্ছে। যারা ধর্ষক, তারাও কোনো না কোনো মায়ের সন্তান। তারা কীভাবে ধর্ষণ করে?’ সংগঠনটির নির্বাহী কমিটির সদস্য শান্তা মারিয়া বলেন, ‘সংবিধানে কি লেখা আছে নারীরা রাতে হোটেলে যেতে পারবে না? কোথাও তো লেখা নেই, নারীরা বাইরে বের হলে তাকে ধর্ষণ করতে হবে।’ মানববন্ধনে জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরাম এবং কয়েকজন পুরুষ সাংবাদিক সংহতি প্রকাশ করেন।
317,492
মাসুদ রানা, গাজীপুর
bangladesh
বাংলাদেশ
১৮ নভেম্বর ২০১৬, ০১:৫৩
১৮ নভেম্বর ২০১৬, ০২:০১
গাজীপুর
0
গেটম্যান নেই ১২৮ লেভেল ক্রসিংয়ে
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1023251
গাজীপুরের ওপর দিয়ে বঙ্গবন্ধু সেতু, ময়মনসিংহ, সিলেট ও চট্টগ্রামে যাওয়া চারটি রেললাইনের ১২৮টি লেভেল ক্রসিংয়ে গেটম্যান নেই। মাঝেমধ্যেই এসব ক্রসিংয়ে দুর্ঘটনায় প্রাণহানির ঘটনা ঘটছে। অরক্ষিত এসব ক্রসিংয়ে রেল কর্তৃপক্ষ শুধু সাইনবোর্ড টাঙিয়ে দায় সেরেছে।সাইনবোর্ডে লেখা, ‘সাবধান, এ লেভেল ক্রসিংয়ে গেটম্যান নেই। পথচারী ও সকল ধরনের যানবাহনের চালক নিজ দায়িত্বে পারাপার করবেন। আর যেকোনো দুর্ঘটনার জন্য ক্ষতিপূরণ দিতে নিজেই বাধ্য থাকিবেন।’ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বলছে, গাজীপুরে গত তিন-চার বছরে রেললাইনের ওপর দিয়ে অনেক রাস্তা হয়েছে। এ জন্য রেল কর্তৃপক্ষের কোনো অনুমতি নেওয়া হয়নি। রেলওয়ের জনবল ও বাজেট না থাকায় এসব লেভেল ক্রসিংয়ে শুধু সাইনবোর্ড টাঙানো হয়েছে।কর্তৃপক্ষ জানায়, জয়দেবপুর থেকে বঙ্গবন্ধু বহুমুখী সেতু পর্যন্ত প্রায় ৯০ কিলোমিটার রেললাইনের মধ্যে লেভেল ক্রসিং রয়েছে ৮১টি। এর মধ্যে প্রথম দিকে ১৭টি ক্রসিংয়ে গেটম্যান দেওয়া হয়। ২০০৯ সালে টাঙ্গাইলে কয়েকটি বড় রেল দুর্ঘটনা ঘটার পর সেখানকার জেলা প্রশাসকের উদ্যোগে আরও পাঁচটি ক্রসিংয়ে গেটম্যান দেওয়া হয়। বাকি ৫৯টি লেভেল ক্রসিং সম্পূর্ণ অরক্ষিত। তবে কালিয়াকৈর হাইটেক পার্কসহ আশপাশের তিনটি ক্রসিংয়ে গেটম্যান দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।এ ছাড়া টঙ্গী-ময়মনসিংহ রেললাইনে গাজীপুরের জয়দেবপুর জংশন থেকে শ্রীপুর পর্যন্ত ৩৪টি অবৈধ লেভেল ক্রসিং আছে। টঙ্গী-সিলেট-চট্টগ্রাম রেললাইনে গাজীপুরের টঙ্গী জংশন কালীগঞ্জ পর্যন্ত ৩৫টি অবৈধ ক্রসিং আছে।সরেজমিনে দেখা গেছে, গাজীপুরের টঙ্গীর বাস্তুহারা এরশাদনগর এলাকায় দুটি লেভেল ক্রসিং আছে। দুই জায়গাতেই রেললাইনের ওপর দোকানপাট বসানো হয়েছে। ট্রেন এলেই ব্যবসায়ীরা সরে যান। হায়দরাবাদ এলাকায় একটি ক্রসিংয়ে স্থানীয় লোকজন বাঁশ দিয়ে গেট ব্যারিয়ার তৈরি করেছেন। ট্রেন এলে স্থানীয় লোকজন বাঁশ নামিয়ে রাস্তা বন্ধ করে দেন। একই অবস্থা গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার বরাব এলাকায়। রেললাইনকে কেন্দ্র করে দুপাশেই গড়ে উঠেছে অস্থায়ী বাজার। বাজারকে কেন্দ্র করে রেললাইনের দুপাশে সব সময় মানুষের ভিড় থাকে। বরাব এলাকায় ক্রসিংয়ে বিভিন্ন সময় ১৫-১৬টি দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ১২ জনের প্রাণহানি হয়।এলাকার ব্যবসায়ী আবু বক্কর সিদ্দিক আকন্দ বলেন, সাকাশ্বর-কোনাবাড়ী সড়কের বরাব এলাকার লেভেল ক্রসিংয়ে গেটম্যান না থাকায় প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। ওই স্থানে বিভিন্ন সময় ট্রেনে কাটা পড়ে কমপক্ষে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। ওই স্থানে গেট ব্যারিয়ার নির্মাণ ও গেটম্যান দেওয়ার জন্য গাজীপুর রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার জানালেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।সম্প্রতি কালিয়াকৈরের ধূপাচালা এলাকায় লেভেল ক্রসিংয়ে কাভার্ড ভ্যান ও ট্রেনের সংঘর্ষ হয়। এতে কাভার্ড ভ্যানের চালক ও তাঁর সহযোগী নিহত হন। এর আগেও সেখানে কয়েকটি দুর্ঘটনা ঘটেছে। পরে মৌচাক ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন নিজ দায়িত্বে বাঁশ দিয়ে গেট ব্যারিয়ার তৈরি করে দুজন লোক নিয়োগ দিয়েছেন। তাঁরা পালা করে গেটম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন।টঙ্গী জংশনের সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন বলেন, হঠাৎ করেই রেললাইনের ওপর দিয়ে রাস্তা তৈরি করা হচ্ছে। এ জন্য অনুমতিও নেওয়া হচ্ছে না। আবার এলাকার মানুষের কথা চিন্তা করে ওই সব রাস্তা বন্ধও করা যায় না। তিনি বলেন, টঙ্গী-সিলেট-চট্টগ্রাম রেললাইনে ২০টি ক্রসিংয়ে গেটম্যান দেওয়ার প্রস্তাব আছে। সেগুলো হলে দুর্ঘটনা অনেক কমে যাবে।জয়দেবপুর রেল জংশনের স্টেশনমাস্টার সাইদুল ইসলাম বলেন, গাজীপুরে নতুন নতুন রাস্তাঘাট হয়েছে। এর মধ্যে অনেক রাস্তা রেললাইন ক্রস করে তৈরি করা হয়েছে। এসব ক্রসিং দিয়ে গাড়ি বা মানুষ যাতায়াতের সময় সাবধানতা অবলম্বন না করায় যখন-তখন দুর্ঘটনা ঘটছে।গাজীপুর রেললাইনের সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুর রশিদ বলেন, গাজীপুরের ওপর দিয়ে যাওয়া তিনটি রেললাইনে ২৮টি ক্রসিংয়ে গেটম্যান দেওয়ার প্রস্তাব আছে। বাকিগুলো পর্যায়ক্রমে করা হবে।
266,416
প্রতিনিধি, চকরিয়া, কক্সবাজার
bangladesh
বাংলাদেশ
১৮ মে ২০১৯, ১৪:০৩
১৯ মে ২০১৯, ১৪:১৯
অপরাধ,কক্সবাজার,চকরিয়া,চট্টগ্রাম বিভাগ,রোহিঙ্গা সমস্যা,মানবপাচার
null
মালয়েশিয়াগামী ৬৭ রোহিঙ্গা আটক
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1594586
কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার উজানটিয়া ইউনিয়নের করিমদাদ মিয়ার ঘাট এলাকা থেকে মালয়েশিয়াগামী ৬৭ রোহিঙ্গাকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত একটার দিকে তাঁদের আটক করা হয়। আটক রোহিঙ্গাদের মধ্যে ২৩ জন পুরুষ, ২৯ জন নারী ও ১৫ জন শিশু রয়েছে। সবাই উখিয়া ও টেকনাফের বিভিন্ন আশ্রয়শিবিরের বাসিন্দা। দুই বছর আগে তাঁরা বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত হয়ে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে এসেছে।আটক নারী-পুরুষেরা জানান, তিন ব্যক্তির মাধ্যমে তাঁরা সাগরপথে মালয়েশিয়া যাচ্ছিলেন। বাসযোগে গতকাল রাত ১২টার দিকে তাঁরা করিমদাদ মিয়ার ঘাটে পৌঁছান। এক ঘণ্টা পর ট্রলারযোগে সাগরপথে রওনা করার আগমুহূর্তে পুলিশ তাঁদের আটক করে।পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকির হোসেন ভূঁইয়া বলেন, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ৬৭ রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়েছে। তাঁদের পাচারের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের ও যাওয়ার সম্ভাব্য পথ সম্পর্কে অনুসন্ধান করা হচ্ছে। পাচারে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।ওসি বলেন, আটক রোহিঙ্গাদের বেশির ভাগ কুতুপালং রোহিঙ্গা শিবির থেকে পালিয়ে এসেছেন বলে জানা গেছে।
402,446
অনলাইন ডেস্ক
technology
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, ১৪:১১
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, ১৪:১৬
খবরাখবর
null
যত গর্জে তত বর্ষে না!
http://www.prothom-alo.com/technology/article/450919
স্মার্টওয়াচ বা স্মার্ট হাতঘড়ি নিয়ে গত বছর যতটা হইচই হয়েছে সে তুলনায় স্মার্টওয়াচ বিক্রি হয়েছে অনেক কম। এ বছরও প্রযুক্তি বিশ্বে সবচেয়ে আলোচিত বিষয় পরিধেয় প্রযুক্তিপণ্য। স্মার্টওয়াচ নিয়ে শোরগোল যতই হোক না কোনো বাজারে কিন্তু এই ঘড়ি তেমন সাড়া ফেলতে পারছে না। প্রযুক্তি বিষয়ক ওয়েবসাইট গিগাওমের এক খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান ক্যানালিসের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৪ সালে ৪৬ লাখ ইউনিট স্মার্ট ঘড়ি বিক্রি হয়েছে। সবচেয়ে আলোচিত অ্যান্ড্রয়েড ওয়্যার চালিত স্মার্টওয়াচ আশানুরূপ বিক্রি হয়নি। পুরো বছরে মাত্র সাত লাখ ২০ হাজার ইউনিট বিক্রি হয়েছে অ্যান্ড্রয়েড ওয়্যার স্মার্টওয়াচ। সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়েছে মটোরোলার মটো ৩৬০ ।বাজার গবেষকেরা বলছেন, অনেকেই অ্যাপলের স্মার্টওয়াচের জন্য অপেক্ষা করছেন। এ বছরের এপ্রিল মাস নাগাদ নতুন স্মার্টওয়াচের ঘোষণা দেবে আইফোন, আইপ্যাড নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি।বছরে ৪৬ লাখ ইউনিট স্মার্টওয়াচ বিক্রি হলেও অ্যান্ড্রয়েড ওয়্যারের জনপ্রিয়তার বিষয়টি প্রশ্নের মুখেই পড়ে যাচ্ছে। কারণ গুগলের এই ওএস চালিত স্মার্টওয়াচ প্ল্যাটফর্মটি ব্যবহার করে অনেক নির্মাতা স্মার্টওয়াচ বাজারে ছেড়েছে। দীর্ঘদিন ধরে অ্যান্ড্রয়েড নির্ভর স্মার্টফোন তৈরি করলেও তাইওয়ানের এইচটিসি অ্যান্ড্রয়েড ওয়্যার নির্মিত স্মার্টওয়াচ তৈরির পরিকল্পনা থেকে সরে এসেছে। এইচটিসি নিজস্ব প্ল্যাটফর্মের স্মার্টওয়াচ তৈরির কথা ভাবছে।আলটিমেটামপ্রযুক্তি বিশ্লেষকেরা বলছেন, প্রযুক্তিপণ্যের ক্ষেত্রে নতুন যুগের সূচনা হয়েছে। গ্রাহকপর্যায়ে পরিধেয় প্রযুক্তিপণ্যের ব্যবহারের হার ধীরে হলেও পরিধেয় প্রযুক্তিপণ্যের নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যাপক প্রচার চালাচ্ছে। তাদের এই প্রচারণাতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। কিন্তু অ্যান্ড্রয়েড ওয়্যার চালিত কোনো ব্র্যান্ডের স্মার্টওয়াচ এ বছরে জনপ্রিয় না হলে গুগলকে সমস্যার মধ্যে পড়ে যেতে হবে কারণ গুগলের ওপর থেকে সবটুকু আলো কেড়ে নেওয়ার জন্য দৃশ্যপটে উঁকি দিচ্ছে অ্যাপল পণ্য।
114,990
তারেক মাহমুদ, ক্রাইস্টচার্চ থেকে
sports
খেলা
২২ জানুয়ারি ২০১৭, ০২:৩০
২২ জানুয়ারি ২০১৭, ০২:৩৭
খেলা,আন্তর্জাতিক ক্রিকেট
null
তাসকিন সেই দিনের অপেক্ষায়
http://www.prothom-alo.com/sports/article/1064729
তাসকিন আহমেদের মনে একটা বিশ্বাস ভালোভাবেই জন্মেছে। একদিন সাত-আটটি উইকেট একসঙ্গে পেয়ে যাবেন। সেই দিনটা এসে যাবে যেকোনো দিন। যেকোনো ম্যাচে।কথা হচ্ছিল তাসকিনের বলে ক্যাচ পড়া নিয়ে। স্লিপে নিউজিল্যান্ডের ওপেনার জিৎ রাভালের ক্যাচ ছেড়েছেন সাব্বির রহমান। সাব্বির দলের সেরা ফিল্ডার। কঠিন কঠিন ক্যাচও তাঁর হাতে জাদুর মতো আটকে যায়। কিন্তু তাসকিনের বলে ক্যাচ উঠলেই কে যেন সাব্বিরের হাতে সাবান মেখে দেয়। সেই পিচ্ছিল হাত থেকে ওয়েলিংটন টেস্টেও তাসকিনের বলে ক্যাচ পড়েছে, পড়ল কালও।তাসকিনেরই দুর্ভাগ্য হয়তো। নইলে বারবার তাঁর উইকেটগুলোই কেন ফিল্ডারদের হাত গলে বেরিয়ে যায়! নিজেই হিসাব করে বের করেছেন, নিউজিল্যান্ড সফরে তাঁর বলে অন্তত পাঁচটি ক্যাচ পড়েছে। অন্য সিরিজেও এটা নিয়মিত ব্যাপার। ফিল্ডারদের ভুলে প্রায় সব ম্যাচেই একটা না একটা উইকেট হাতছাড়া হবে। ক্রাইস্টচার্চ টেস্টে তো কাল আম্পায়ার নাইজেল লংও কেড়ে নিলেন একটি উইকেট!তাসকিনের বল হেনরি নিকোলসের ব্যাটের কানায় লেগে জমা পড়ে উইকেটকিপার নুরুল হাসানের গ্লাভসে। কিন্তু ক্যাচের আপিলে সাড়া দেননি আম্পায়ার। রিভিউ শেষ হয়ে গিয়েছিল বলে ডিআরএস আর চাওয়া যায়নি, কাল তাই মাত্র এক উইকেট নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে তাসকিনকে।আক্ষরিক অর্থেই তিনি সন্তুষ্ট। ফিল্ডিংয়ে যে অহরহ ক্যাচ পড়ছে, সেটা নিয়ে কোনো অভিযোগ নেই পেসার তাসকিনের, ‘এটা ঠিক, আমার বলে অনেক সুযোগ এসেছিল। এটা ক্রিকেটেরই অংশ। আমি এ নিয়ে তেমন একটা ভাবছি না। আজকেও (কাল) ক্যাচ হাতছাড়া হয়েছে। দু-একটা ব্যাটের কানায় লেগে স্লিপ-গালির মাঝখান দিয়ে গেছে। একটা উইকেট পেয়েছি। তবে যেদিন আমার দিন থাকবে, দেখা যাবে ৬-৭-৮ উইকেট পেয়ে গেছি।’তাসকিনের উইকেট হাতছাড়া হওয়া বাদ দিলে অবশ্য কাল সারা দিনে বাংলাদেশের বোলিং হয়েছে মনে রাখার মতো। নিজের হতাশা ছাপিয়ে তাসকিনের কথায় সেই তৃপ্তি, ‘বোলাররা সবাই ভালো বোলিং করেছি। একেকজন একেকভাবে ভালো বোলিং করেছে। কেউ হয়তো সুন্দর স্পেল করেছে, কেউ উইকেট নিয়েছে, কেউ রান বেঁধে রেখেছে। মূল ব্যাপার হলো ভালো জায়গায় বল করা, ভালো বল করা। আমরা সেই চেষ্টাই করেছি।’বোলাররা সবাই ভালো বোলিং করেছি। একেকজন একেকভাবে ভালো বোলিং করেছে। কেউ হয়তো সুন্দর স্পেল করেছে, কেউ উইকেট নিয়েছে, কেউ রান বেঁধে রেখেছে। মূল ব্যাপার হলো ভালো জায়গায় বল করা, ভালো বল করা। আমরা সেই চেষ্টাই করেছিকাল শুরু থেকেই বেশ আক্রমণাত্মক ছিলেন বাংলাদেশের বোলাররা। বলের গতি, বাউন্স, লাইন, লেংথ—সবকিছুই একেবারে নিখুঁত। তাসকিন জানালেন, পরিকল্পনা করেই কিউই ব্যাটসম্যানদের ওপর অমন আক্রমণাত্মক হয়েছেন তাঁরা এবং তাতে সাফল্যও এসেছে।শেষবেলায় ৩ উইকেট নিয়ে বাঁহাতি স্পিনার সাকিব আল হাসানও দিয়েছেন দারুণ সংগত। তাসকিনের চোখে সাকিবের এই বোলিংই শেষ পর্যন্ত দিনটাকে বাংলাদেশের করে দিয়েছে, ‘এটা (সাকিবের ৩ উইকেট) আমাদের খুবই উপকার করেছে। টেস্ট খেলাটাই এমন, মোমেন্টামের ব্যাপার। একেকটা সময় আসে সেটা ধরতে হয়। আমরা তা ধরতে পেরেছি। সাকিব ভাইয়ের ৩ উইকেট খুব ভালো হয়েছে আমাদের জন্য।’ক্রাইস্টচার্চ টেস্টের দুই দিন শেষে বাংলাদেশই কিছুটা এগিয়ে। তাসকিন এখান থেকে টেস্ট জয়ের সম্ভাবনাও দেখছেন, ‘এটা ঠিক, আমরা কিছুটা অনভিজ্ঞ। কিন্তু আমাদের জেতার সামর্থ্য আছে। এখান থেকেও আমরা জিততে পারি। এর আগে আমরা জিতে দেখিয়েছি। তবে সেটা হয়তো দেশের মাটিতে ছিল। এখানেও তা সম্ভব। আমাদের সেই সামর্থ্য আছে।’৭-৮ উইকেটের চেয়ে আপাতত নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে টেস্ট জয় পেলেই বোধ হয় বেশি খুশি হবেন তাসকিন।
285,742
শিবগঞ্জ (বগুড়া) প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
১৯ নভেম্বর ২০১৩, ০০:৩৬
১৯ নভেম্বর ২০১৩, ০০:৩৭
শিবগঞ্জ,বগুড়া,রাজশাহী বিভাগ,অপরাধ,বিশাল বাংলা
0
কলেজের অধ্যক্ষ সাময়িক বরখাস্ত
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/76834
বগুড়ার শিবগঞ্জের তোজাম্মেল হোসেন মেমোরিয়াল টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজের অধ্যক্ষ হাবিবা নাহারকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।অদক্ষতা ও আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রভাষক আল মাহমুদকে গতকাল সোমবার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আল মাহমুদ বলেন, ‘ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতির চিঠি তিনি পেয়েছেন।
29,117
অনলাইন ডেস্ক
sports
খেলা
২৭ এপ্রিল ২০১৪, ১৬:৩৩
২৭ এপ্রিল ২০১৪, ১৭:০৪
আন্তর্জাতিক ফুটবল
null
ফুটবলের সবচেয়ে মর্মান্তিক ট্র্যাজেডির গল্প শুনুন
http://www.prothom-alo.com/sports/article/203002
অঘটন, বিপর্যয়, ট্র্যাজেডি—ফুটবলে এ শব্দগুলো কিন্তু অচেনা নয়। ফুটবল অঙ্গনের বিভিন্ন ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে এ শব্দগুলো সবগুলো প্রায়ই ব্যবহূত হয়। কিন্তু শব্দগুলোর সত্যিকারের ভয়াবহতা টের পাওয়া যায় না অনেক সময়ই। এ শব্দগুলোর সত্যিকারের মানে বুঝেছিল জাম্বিয়া, আজ থেকে ঠিক ২১ বছর আগে! মর্মান্তিক এক বিমান দুর্ঘটনায় হারিয়ে গিয়েছিল দেশটির পুরো একটি ফুটবল প্রজন্ম।নব্বইয়ের দশকের শুরুতে জাম্বিয়া পেয়েছিল একঝাঁক প্রতিভাবান ফুটবলার। ১৯৮৮ সালের অলিম্পিকে জাম্বিয়া ইতালিকে হারিয়েছিল ৪-০ গোলে। ১৯৯৪ সালের বিশ্বকাপ বাছাইপর্বেও দেখিয়েছিল দারুণ পারফরম্যান্স। সেবারই প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ খেলার স্বপ্ন দেখছিল আফ্রিকার এ দেশটি। কিন্তু ১৯৯৩ সালের ২৭ এপ্রিল এক বিমান দুর্ঘটনা ধ্বংস করে দেয় জাম্বিয়ার সব স্বপ্ন।বাছাইপর্বের ম্যাচ খেলার জন্য বিশেষ এক বিমানে করে সেনেগালের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন জাম্বিয়ার ফুটবলাররা। ২৭ এপ্রিল সেই বিমানটিই পড়ে দুর্ঘটনার মুখে। বিমানের ৩০ জন যাত্রীই মারা গিয়েছিলেন সেই ভয়াবহ দুর্ঘটনায়। এর মধ্যে ছিলেন ১৮ জন জাম্বিয়ান ফুটবলার ও জাতীয় দলের কোচ গডফ্রে চিতালু।সৌভাগ্যের কারণে সেই বিমানে ছিলেন না জাম্বিয়ার অন্যতম সেরা খেলোয়াড় কালুসা বাওয়ালা। তাঁর নেতৃত্বেই পরে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের বাকি ম্যাচগুলো খেলেছিল জাম্বিয়া। স্বপ্ন পূরণের খুব কাছাকাছিও চলে গিয়েছিল ভয়াবহ ট্র্যাজেডির শিকার হওয়া জাম্বিয়ান ফুটবল দল। তড়িঘড়ি করে সাজানো দলটা মাত্র এক পয়েন্টের জন্য যেতে পারেনি বিশ্বকাপের চূড়ান্তপর্বে। পরের বছর আফ্রিকান কাপ অব নেশনসেও সবাইকে চমকে দিয়ে ফাইনালে চলে গিয়েছিল জাম্বিয়া। নাইজেরিয়ার কাছে ২-১ গোলে হেরে শিরোপা জয়ের স্বাদ না পেলেও দেশে ফিরে বীরের সংবর্ধনাই পেয়েছিলেন জাম্বিয়ার ফুটবলাররা।কিন্তু ১৮ জন খেলোয়াড় ও কোচের মৃত্যু গভীর সংকটেই ফেলে দেয় দেশটির ফুটবলকে। আফ্রিকার সেরা দল হওয়ার জন্য জাম্বিয়াকে অপেক্ষা করতে হয়েছে ২০১২ সাল পর্যন্ত। কাকতালীয় ব্যাপার হলো ২০১২ সালের ফাইনালটি হয়েছিল গ্যাবনের রাজধানী লিব্রেভেলিতে। এখানেই বিধ্বস্ত হয়েছিল ১৯৯৩ সালের সেই বিমানটি। ফাইনালের আগেই সেই দুর্ঘটনাকবলিত জায়গায় গিয়ে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছিলেন জাম্বিয়ার নতুন প্রজন্মের ফুটবলাররা। ১৯৯৩ সালের সেই দলের সদস্য বাওয়ালা সে সময় বলেছিলেন, ‘আমি নিশ্চিত তাঁরা আমাদের সঙ্গে থাকবে।’সত্যিই হয়তো সঙ্গে ছিলেন জাম্বিয়ার সেই নিহত ফুটবলাররা। সেবারই উত্তেজনাপূর্ণ ফাইনালে আইভরি কোস্টকে টাইব্রেকারে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল জাম্বিয়া। এই জয় যেন ছিল সেই ১৯৯৩ সালের হতভাগ্যদেরই পর জনমের স্বপ্ন পূরণ!
68,863
গাইবান্ধা প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
২৩ ডিসেম্বর ২০১৩, ০১:৫৬
২৩ ডিসেম্বর ২০১৩, ০১:৫৭
গাইবান্ধা,রংপুর বিভাগ,অপরাধ,বিশাল বাংলা
0
স্বামীর দেওয়া আগুনে দগ্ধ হলেন স্ত্রী
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/105955
গাইবান্ধায় আফরোজা বেগম (২৫) নামের এক গৃহবধূর শরীরে তাঁর স্বামী কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে ওই গৃহবধূর মুখমণ্ডলসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ পুড়ে গেছে। গতকাল রোববার জেলা শহরের খানকা শরিফ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, পাঁচ বছর আগে খানকা শরিফ এলাকার খোকা মিয়ার ছেলের জাহাঙ্গীর আলমের (৩২) সঙ্গে সদর উপজেলার চকমামরুজপুর গ্রামের আফজাল মিয়ার মেয়ে আফরোজা বেগমের বিয়ে হয়। কিছুদিন আগে আফরোজা বেসরকারি সংস্থা আশার স্থানীয় শাখা থেকে পাঁচ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে স্বামীকে ব্যবসা করার জন্য দেন। গতকাল রোববার ছিল ওই ঋণের কিস্তি দেওয়ার দিন। কিস্তি দেওয়ার জন্য আফরোজা গতকাল বিকেল চারটার দিকে স্বামীর কাছে টাকা চাইতে যান। এ নিয়ে স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে বাগিবতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে জাহাঙ্গীর ঘরে রাখা কেরোসিন আফরোজার মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন। তাঁর চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসেন। এ সময় জাহাঙ্গীর আলম পালিয়ে যান।পরে গুরুতর দগ্ধ অবস্থায় স্থানীয় লোকজন তাঁকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। জাহাঙ্গীরের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা আবু হানিফ জানান, আফরোজার হাত, পা, মুখসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ পুড়ে গেছে। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে ঢাকায় পাঠানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোপাল চন্দ্র চক্রবর্তী গতকাল প্রথম আলোকে জানান, এ নিয়ে আফরোজার মা ডলি বেগম বাদী হয়ে জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে সদর থানায় মামলা করেছেন।
37,977
গাই ভারহোফস্টাড
opinion
মতামত
১৩ এপ্রিল ২০১৬, ০০:৩৪
১৩ এপ্রিল ২০১৬, ০০:৩৬
মতামত,আন্তর্জাতিক
0
সংকটে আইনের শাসন
http://www.prothom-alo.com/opinion/article/828202
দুটি বিশ্বযুদ্ধের ধ্বংসস্তূপ থেকে ইউরোপীয় দেশগুলো একীভবন, সহায়তা ও যৌথ সার্বভৌমত্বের লক্ষ্যে বিশ্বের সর্ববৃহৎ পরীক্ষা-নিরীক্ষা হাতে নিয়েছে। কিন্তু গত কয়েক দশকের চিত্তাকর্ষক অর্জন সত্ত্বেও ইউরোপীয় প্রকল্প ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়েছে। অমীমাংসিত আর্থিক সংকট, শরণার্থী সংকট, ক্রমহ্রাসমান নিরাপত্তা ও থেমে যাওয়া একীভবন প্রক্রিয়ার কারণে ইউরোপজুড়ে এক বিষাক্ত অস্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছে, যার পরিপ্রেক্ষিতে জনপ্রিয়তাবাদ ও জাতীয়তাবাদ গড়ে উঠছে। সম্ভবত এর সবচেয়ে পরিষ্কার নিদর্শন হচ্ছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের আইনের শাসনের অবক্ষয়।ইউরোপীয় ইউনিয়নের দুই সদস্য হাঙ্গেরি ও পোল্যান্ড ইউরোপের কষ্টার্জিত গণতান্ত্রিক রীতিনীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। আর এর মাধ্যমে তারা ইউরোপের একীভবনের মূল লক্ষ্যকেই খাটো করছে। হাঙ্গেরির উদার গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবানের কাঠামোগত আক্রমণের মুখে পড়েছে। ২০১০ সালে ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তনের পর এই ভিক্টর অরবান হাঙ্গেরিকে এই কর্তৃত্বপরায়ণ জাতীয়তাবাদী পথে পরিচালিত করছেন। আর তিনি শরণার্থী সংকটকে কাজে লাগিয়ে ‘ঘেরাও মানসিকতা’ তৈরি করেছেন, যার কারণে তাঁর পক্ষে মানুষের সমর্থন লাভ করা সম্ভব হচ্ছে। এই প্রক্রিয়ায় মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব করা হচ্ছে, শরণার্থীদের দানব বানানো হচ্ছে। আর অরবান ইউরোপীয় ইউনিয়নকে ক্ষতিগ্রস্ত করার লক্ষ্যে নিজের ক্ষমতায় যা কুলায় তা-ই করছেন। ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিষ্ঠানগুলো অরবানকে যতই তরিকা বদলের পরামর্শ দিচ্ছে, তাঁর সাহস ততই লাগামছাড়া হচ্ছে, আর গণতান্ত্রিক রীতির ওপর হামলে পড়ছেন তিনি।এদিকে পোল্যান্ডেও গণতান্ত্রিক সংকট সৃষ্টি হয়েছে, যার শুরুটা হয় গত অক্টোবরে। অক্টোবরে অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে ইউরো সম্পর্কে সন্দিহান দল ল অ্যান্ড জাস্টিস (পিআইএস) জনপ্রিয় অর্থনৈতিক নীতি বাস্তবায়ন ও সব বিবেচনায় ‘পোল্যান্ডই প্রথম অগ্রাধিকার’—এই প্রতিশ্রুতি দিয়ে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে। এরা আবার অভিবাসনবিরোধী। তা সত্ত্বেও নির্বাচনের পর থেকে পিআইএস পোলিশ সংবিধান কাটাছেঁড়া করতে শুরু করেছে। পোল্যান্ডের সাংবিধানিক আদালত সংস্কারের লক্ষ্যে দেশটির সরকার যে আইন করেছে, আদালত তার তীব্র বিরোধিতা করেছেন। ইউরোপীয় গণতন্ত্রের নজরদারি প্রতিষ্ঠান ভেনিস কমিশনও তার সঙ্গে সুর মিলিয়েছে। সরকার খুবই কার্যকরভাবে এই আইনের সাংবিধানিক বৈধতা নিয়ে বিধি জারি করা থেকে আদালতকে বিরত রাখতে পেরেছে। এতে গণতন্ত্রের আইনের শাসনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ দুর্বল হয়ে পড়েছে, যা পোল্যান্ড ও ইউরোপের জন্য একইভাবে খুবই গুরুতর সমস্যা।ইউরোপে ডানপন্থা জেঁকে বসেছে, হাঙ্গেরি ও পোল্যান্ড সেই ধারার সামনের কাতারের দেশ। ইউরোপীয় ইউনিয়ন শরণার্থী ও আর্থিক সংকট মোকাবিলায় ব্যর্থ হওয়ার যে রাজনৈতিক শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে, কিছু রাজনৈতিক দল তার সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করছে। এই সমীকরণ কে ওল্টাবে? গণতান্ত্রিক দেশে গণতন্ত্রের শত্রুদের সঙ্গে গণতান্ত্রিক পন্থায় লড়াই করাটা গুরুত্বপূর্ণ। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হলো, এই বিশ্বায়িত পৃথিবীতে বহির্বিশ্বের দেশগুলোর হাঙ্গেরি ও পোল্যান্ডের মানুষকে এটা বোঝানোর যে বিশ্বায়নের যুগে জাতীয়তাবাদ নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির যে নিশ্চয়তা দেয় তা ভুয়া। ইউরোপের পেটের মধ্যে থাকা এ দুটি দেশ ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য হয়ে ব্যাপকভাবে লাভবান হয়েছে। ফলে আরও সমৃদ্ধি অর্জনের সুযোগ তাদের আছে, যেটা তাদের ছুড়ে ফেলা উচিত হবে না।এই দুটি দেশই কিন্তু ১৯৮৯ সালে আন্তর্জাতিক পরিসর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়নি। আয়রন কার্টেনের পতনের পর তারা উভয়েই ন্যাটোর কট্টর মিত্রে পরিণত হয়, তখনো তারা ইউরোপীয় ইউনিয়নে যোগ দেয়নি। ইউরোপের একতার ভূরাজনৈতিক ও নিরাপত্তাজনিত যুক্তি বেশ জোরালো, আর হাঙ্গেরি ও পোল্যান্ড ছাড়া একীভূত ইউরোপের কথা চিন্তা করা যায় না।কিন্তু আমাদের সবাইকে, বিশেষ করে হাঙ্গেরি ও পোল্যান্ডের মানুষকে অবশ্যই এ কথা মনে রাখতে হবে যে ইউরোপীয় ইউনিয়নের মতো ন্যাটোও গণতান্ত্রিক রীতিনীতি, ব্যক্তিস্বাধীনতা ও আইনের শাসনের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। যে সরকার এই নীতি লঙ্ঘন করে, তারা একতার নীতি ও মিত্রতার সংহতিকে ঝুঁকির মুখে ফেলে। সে কারণে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর অন্য সদস্যদের এটা বলা জরুরি যে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার ভারসাম্য রক্ষার যে ব্যবস্থা আছে তা রক্ষা করতে হবে। পোল্যান্ডে যদি সাংবিধানিক সংকট থাকে এবং দেশটির সরকার আইনের শাসন ও মর্যাদাপূর্ণ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর কথা অগ্রাহ্য করে, তাহলে ন্যাটোর সদস্যরাষ্ট্রগুলোর প্রধানদের পক্ষে আগামী জুন মাসে ওয়ারশতে অনুষ্ঠেয় সম্মেলনে যোগ দেওয়ার কথা চিন্তা করা অকল্পনীয় ব্যাপার হবে।হাঙ্গেরি ও পোল্যান্ডের মানুষকে এটা অবশ্যই মনে করিয়ে দেওয়া দরকার যে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ন্যাটোকে দুর্বল করার জন্য সক্রিয়ভাবে চেষ্টা করছেন। ইউরোপকে যদি ক্রেমলিনের আগ্রাসন মোকাবিলা করতে হয়, তাহলে পোল্যান্ড ও হাঙ্গেরির এই সংস্থা দুটির মূল নীতি ও মূল্যবোধ মেনে চলা জরুরি।কিন্তু ইউনিয়নের মধ্যে আইনের শাসনকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নকেই আরও পূর্ণাঙ্গ কর্মপন্থা নির্ধারণ করতে হবে। অর্থনৈতিক নীতি নিয়ন্ত্রণ ও পরিবেশ রক্ষায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিজস্ব কার্যসাধন পদ্ধতি রয়েছে। কিন্তু ইউরোপ তো আর শুধু অর্থনৈতিক প্রকল্প নয়, এটা মূল্যবোধেরও ইউনিয়ন, কোনো সদস্য তা লঙ্ঘন করবে, অথচ তার ফল ভোগ করবে না, তা হতে পারে না।সরকার গঠন হয় আবার তার পতনও হয়, রাজনীতিকেরা আসেন, আবার চলে যান। কিন্তু গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানে যেন রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে। দুঃখজনক হলেও এটাই বাস্তবতা যে হাঙ্গেরি ও পোল্যান্ড যদি আজ ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যপদ পাওয়ার আবেদন করে, তাহলে তাদের কেউই তা পেত না। এর অর্থ কী দাঁড়ায়, দেশটির জনগণকে তা সতর্কতার সঙ্গে ভেবে দেখতে হবে। তাদের বর্তমান নেতারা বলছেন, তঁারা জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করছেন। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র, ন্যাটো ও ইউরোপের বাকি দেশগুলো যদি তাদের কোণঠাসা করে ফেলে, তাহলে কি সেটা তাদের স্বার্থের পক্ষে যাবে?স্বত্ব: প্রজেক্ট সিন্ডিকেট; অনুবাদ: প্রতীক বর্ধনগাই ভারহোফস্টাড: বেলজিয়ামের সাবেক প্রধানমন্ত্রী।
220,038
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
bangladesh
বাংলাদেশ
০৪ জুলাই ২০১৩, ০২:১৭
০৪ জুলাই ২০১৩, ০২:১৭
চট্টগ্রাম,বিশাল বাংলা
0
নার্সিং শিক্ষার্থীরা অনশন ভেঙেছেন
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/18800
চট্টগ্রাম নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থীরা অবশেষে অনশন ভেঙেছেন। ডিরেক্টরেট অব নার্সিং সার্ভিসের (ডিএনএস) পক্ষ থেকে তাঁদের ছয় দফা দাবির মধ্যে তিনটি মেনে নেওয়ার আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে আমরণ অনশন কর্মসূচি প্রত্যাহার করা হয়। এ তিনটি দাবি হলো ইন্টার্নশিপের মেয়াদ ও মাথাপিছু বৃত্তির পরিমাণ বাড়ানো এবং ইউনিফর্ম হিসেবে অ্যাপ্রোন পরার অনুমতি প্রদান।কর্মসূচির তৃতীয় দিনে গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় কলেজের অধ্যক্ষ হোসনে আরা, নার্সিং সুপার মিনারা খানম, সহকারী পরিচালক মোদাব্বের আহমেদ শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙান। এর আগে গতকাল সকালে অনশন চলাকালে অসুস্থ হয়ে পড়লে শিল্পী রানী ও তৌহিদা আক্তার নামের দুজন শিক্ষার্থীকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।ছয় দফা দাবিতে স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন (এসডব্লিউএ) গত সোমবার থেকে কলেজ ক্যাম্পাসে অনশন কর্মসূচি শুরু করে। কেন্দ্রীয় সংগঠন বিবিজিএসএনএর (বাংলাদেশ বেসিক গ্র্যাজুয়েট স্টুডেন্টস নার্স অ্যাসোসিয়েশন) অধীনে দেশের সাতটি নার্সিং কলেজে একই কর্মসূচি পালিত হয়। এসডব্লিউএ চট্টগ্রামনার্সিং কলেজ শাখার সাধারণ সম্পাদক মেরী নাথ প্রথম আলোকে বলেন, ‘গতকাল ডিএনএসের পক্ষ থেকে লিখিতভাবে আগামী তিন মাসের মধ্যে আমাদের তিনটি দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিয়ে অনশন ভাঙার অনুরোধ জানানো হয়। তাই বিবিজিএসএনএর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমরা অনশন কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছি।’ছয় দফা দাবির মধ্যে রয়েছে: ছয় মাস থেকে এক বছর মেয়াদের ইন্টার্নশিপ চালু করা, মাথাপিছু বৃত্তির পরিমাণ বাড়িয়ে ন্যূনতম তিন হাজার টাকা নির্ধারণ, বিশেষ বিসিএস চালুসহ সুনির্দিষ্ট বিধিমালা তৈরি, বিএসসি নার্সিং কোর্স শেষে মাস্টার্স ও উচ্চশিক্ষার সুব্যবস্থা, পৃথক সেবা অনুষদ গঠন এবং ইউনিফর্মের সঙ্গে সুরক্ষা পোশাক হিসেবে অ্যাপ্রোন প্রদান।
114
নিজস্ব প্রতিবেদক
bangladesh
বাংলাদেশ
২৩ জুন ২০১৭, ২১:৪৯
২৩ জুন ২০১৭, ২৩:২৫
রাজধানী (জাতীয়),দুর্ঘটনা
null
জানালার বাইরে মাথা, প্রাণ গেল কলেজছাত্রের
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1228831
খালাতো ভাইয়ের সঙ্গে গল্প করতে করতে বাসে মিরপুর থেকে উত্তরা যাচ্ছিলেন তেজগাঁও পলিটেকনিকের ছাত্র আবুল হাসেম। একপর্যায়ে বাসের জানালা দিয়ে মাথা বাইরে বের করেন হাসেম। মুহূর্তেই পেছন থেকে আসা আরেকটি বাসের ধাক্কা লাগে তাঁর মাথায়। আঘাতের চোটে নাক, মুখ দিয়ে গল গল করে রক্ত বের হতে শুরু করে। প্রায় দুই ঘণ্টা পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু হয় হাসেমের। ঢাকার কেরানীগঞ্জের বাটারাকান্দি গ্রামের হোসেন আলীর ছেলে হাসেম। কল্যাণপুরের মধ্য পাইকপাড়া এলাকার একটি বাসায় পরিবারের সঙ্গে থাকতেন তিনি। দুই ভাই এক বোনের মধ্যে হাসেম ছিলেন মেজ। তেজগাঁও পলিটেকনিক কলেজের কম্পিউটার সায়েন্সের চতুর্থ সেমিস্টারের ছাত্র ছিলেন তিনি। হাসেমের ভাই আবুল কাশেম জানান, শুক্রবার সকালে মিরপুরের বাসা থেকে খালাতো ভাই নাহিদকে সঙ্গে নিয়ে ঈদের বাজার করতে উত্তরায় যাচ্ছিলেন আবুল হাসেম। মিরপুর বাংলা কলেজের সামনে থেকে প্রজাপতি পরিবহনে উঠে দুজন পাশাপাশি সিটে বসেন। চলন্ত বাসে হাসেম জানালা দিয়ে মাথা বের করে রাখেন। বাসটি মিরপুর ২ সেকশনের ফুটওভারব্রিজের নিচে এলে পল্লবী সুপার পরিবহনের একটি বাস তাঁর মাথায় ধাক্কা দেয়। এতে আবুল হাসেম গুরুতর আহত হন। মিরপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সুব্রত কুমার প্রথম আলোকে বলেন, হাসেম যে বাসটিতে ছিলেন, ওই বাসের চালক বাসটি রেখে পালিয়ে যান। পরে বাসটি আটক করা হয়। কিন্তু কোন বাসটির ধাক্কা হাসেমের মাথায় লেগেছিল, তা এখনো শনাক্ত করা যায়নি।
322,482
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
bangladesh
বাংলাদেশ
৩০ জুলাই ২০১৮, ১২:৪০
৩০ জুলাই ২০১৮, ১৩:০৭
আইন ও বিচার
null
দুই বাসচালক ও দুই সহকারী গ্রেপ্তার
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1543166
রাজধানীতে বাসচাপায় শহীদ রমিজউদ্দীন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় দুই বাসচালক ও দুই সহকারীকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব।আজ সোমবার দুপুরের দিকে র‍্যাব-১-এর পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো মোবাইল ফোনের খুদে বার্তায় এই তথ্য জানানো হয়।গ্রেপ্তার হওয়া দুই বাসচালক হলেন সোহাগ ও যুবায়ের। তাঁদের রাজধানীর মিরপুর থেকে আটক করা হয়।গ্রেপ্তার হওয়া বাসচালকের দুই সহকারীর নাম-পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানায়নি র‍্যাব।গতকাল দুপুরের দিকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সামনের বিমানবন্দর সড়কে বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থী নিহত হয়। নিহত দুই শিক্ষার্থী হলো শহীদ রমিজউদ্দীন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র আবদুল করিম ওরফে রাজীব (১৭) ও একই কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী দিয়া খানম ওরফে মিম (১৬)।ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী দুজন শিক্ষার্থী প্রথম আলোকে বলে, জাবালে নূর পরিবহনের দুটি বাস উড়ালসেতুর ঢাল দিয়ে নামার সময় যাত্রী ওঠানোর জন্য রেষারেষি করছিল। এ সময় একটি বাস আরেকটি বাসকে বেপরোয়াভাবে পাশ কাটিয়েই আবার বাঁয়ে চাপানোর চেষ্টা করে। এতে এক চালক নিয়ন্ত্রণ হারান। বাসটি রাস্তার পাশের একটি গাছ উপড়ে ফেলে শিক্ষার্থীদের চাপা দেয়। ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারায় দুই শিক্ষার্থী।বাসচাপায় প্রাণহানির ঘটনায় গতকাল রাতে ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা করছেন নিহত শিক্ষার্থী দিয়া খানমের (মিম) বাবা জাহাঙ্গীর আলম।
372,065
অনলাইন ডেস্ক
international
আন্তর্জাতিক
১৮ মার্চ ২০১৯, ২১:০৭
১৮ মার্চ ২০১৯, ২১:৪১
নিউজিল্যান্ড,নিউজিল্যান্ডে হামলা,অস্ট্রেলিয়া
null
টারান্ট অস্ত্র কেনেন অনলাইন থেকে
http://www.prothom-alo.com/international/article/1584135
নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে দুটি মসজিদে হামলায় ৫০ জন মুসল্লি নিহত হন। মসজিদে রক্তক্ষয়ী হামলা চালান সন্ত্রাসী ব্রেনটন হ্যারিসন টারান্ট। লাইভ করে হামলা চালান তিনি। হামলার আগে ব্রেনটন হ্যারিসন টারান্ট কয়েকটি অস্ত্র কিনেছেন। গান সিটি নামের একটি অস্ত্র বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান থেকে গত তিন মাসে চারটি অস্ত্র কেনেন তিনি। টারান্ট অস্ত্র কেনেন অনলাইনে।রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, গান সিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডেভিড টিপ্পল সোমবার ক্রাইস্টচার্চে সংবাদ সম্মেলন করেন। সেখানে তিনি বলেছেন ব্রেনটন হ্যারিসন টারান্ট অনলাইন থেকে চার মাসে চারটি অস্ত্র কেনেন। তাঁর প্রতিষ্ঠান সন্ত্রাসী টারান্টের কাছে চারটি আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ বিক্রি করেছে। এসব অস্ত্র গত বছরের ডিসেম্বর থেকে এ বছরের মার্চে কিনেছেন টারান্ট। তাঁর কাছে লাইসেন্স ছিল। তাঁর সম্পর্কে অস্বাভাবিক কিছু খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে তাঁর দোকান থেকে বিক্রি হওয়া অস্ত্র কোথায় ব্যবহার করা হয়েছে, তা নিয়ে করা প্রশ্নের সরাসরি জবাব দিতে অস্বীকার করেছেন টিপ্পল।ডেভিড টিপ্পল বলেন, ‘দুটি মসজিদে হামলায় ব্যবহৃত সামরিক কায়দার আধা স্বয়ংক্রিয় (এমএসএসএ) আগ্নেয়াস্ত্র। এসব অস্ত্র তাঁর দোকান থেকে কেনা হয়নি। তিনি বলেন, হামলায় ব্যবহৃত একটি অস্ত্র আমি তাঁর কাছে বিক্রি করিনি। আমি ভিডিও দেখেছি, রাইফেল দেখেছি। তবে আমি জানি এ অস্ত্র কোথা থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। আমি যেটি ধারণা করছি, সে অনুসারে যদি এটির সিরিয়াল নম্বর হয়, তবে অস্ত্র গান সিটির সংশ্লিষ্ট কোনো দোকান থেকে সংগ্রহ করা হয়নি।’গান সিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডেভিড টিপ্পলের মতে, আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্সের আবেদনের পরীক্ষা করার দায়িত্ব পুলিশ বিভাগের। এমনকি ভবিষ্যতেও কেউ যদি একই ধরনের লাইসেন্স নিয়ে আসেন, তাঁর কাছেও তিনি অস্ত্র বিক্রি করবেন বলে জানান তিনি। টিপ্পল বলেন, ‘গান সিটির কাছে অস্ত্র বিক্রির নথি আছে। এ ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য পুলিশকে দিয়েছি।’স্থানীয় সময় গত শুক্রবার বেলা দেড়টার দিকে ক্রাইস্টচার্চে আল নূর মসজিদে জুমার নামাজ আদায়রত মুসল্লিদের ওপর প্রথমে সন্ত্রাসী হামলা হয়। কিছু পরে লিনউড মসজিদে দ্বিতীয় হামলা হয়। দুটি মসজিদে হামলায় ৫০ জন নিহত হন। আহত হন প্রায় ৫০ জন। কিছু পরে লিনউড মসজিদে দ্বিতীয় হামলা হয়।আল নূর মসজিদে স্বয়ংক্রিয় রাইফেল নিয়ে হামলার ঘটনাটি ফেসবুকে লাইভস্ট্রিম করেন হামলাকারী ব্রেনটন হ্যারিসন টারান্ট। আল নূর মসজিদে আনুমানিক ৩০০ এবং লিনউড মসজিদে শ খানেক মুসল্লি নামাজ আদায় করছিলেন বলে জানা গেছে।নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে রক্তক্ষয়ী হামলার আগে হামলাকারী ব্রেনটন হ্যারিসন টারান্ট দেশটির প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডেনের কার্যালয়ে ইশতেহার (মেনিফেস্টো) পাঠিয়েছিলেন। সেখানে ব্রেনটন টারান্টের শুক্রবারের হামলার কারণের ব্যাখ্যা ছিল। একই মেনিফেস্টো পাঠানো হয়েছে নিউজিল্যান্ডের কয়েকজন প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ এবং দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমের কাছেও। এই মেইল পাওয়ার দুই মিনিট পরই তা পুলিশের কাছে পাঠানো হয়।ব্রেনটন হ্যারিসন টারান্ট তাঁর শুক্রবারের রক্তক্ষয়ী হামলার কারণ ইশতেহারে বিস্তারিত তুলে ধরেছেন। ইশতেহারের বলা হয়েছে, আরেক সন্ত্রাসী অ্যান্ডার্স ব্রেইভিকের আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে নিউজিল্যান্ডে হামলা চালিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে তিনি জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা ম্যার্কেল, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান এবং লন্ডনের মেয়র সাদেক খানের মৃত্যু কামনা করেছেন। ওই ইশতেহারের নাম তিনি দিয়েছেন ‘দ্য গ্রেট রিপ্লেসমেন্ট’।হ্যারিসন টারান্টের নৃশংসতার কবল থেকে কয়েক মিনিটের জন্য রক্ষা পেয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের খেলোয়াড়েরা। শুক্রবার জুমার নামাজ আদায় করতে তাঁরা ওই সময় গিয়েছিলেন মসজিদে। একজন নারী তামিম ইকবাল-মুশফিকুর রহিমদের ভেতরে প্রবেশ করতে নিষেধ করেন। তাঁর নিষেধেই তড়িঘড়ি করে ওই স্থান ছেড়ে চলে যান ক্রিকেটাররা।
394,234
শফিক আল মামুন
entertainment
বিনোদন
১৫ নভেম্বর ২০১৮, ১২:১৭
১৫ নভেম্বর ২০১৮, ১২:৫৫
আনন্দ,চলচ্চিত্র
null
জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে ‘মিস্টার বাংলাদেশ’
http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/1565319
নিজের প্রযোজনায় তৃতীয় ছবি আনছেন খিজির হায়াত খান। ছবির নাম মিস্টার বাংলাদেশ। এই ছবির নায়কও তিনি। ছবির বিষয়  জঙ্গিবাদ।এ অভিনেতা ও প্রযোজক বলেন, ‘হোলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলায় আমার বন্ধু ইসরাত আখন্দ নিহত হয়েছেন। বন্ধুর মৃত্যুর পরপরই জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে কাজ করার আগ্রহ তৈরি হয়। ধর্মের অপব্যাখ্যা দিয়ে নিরীহ মানুষকে হত্যা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। মানসিক তাড়না থেকেই কাজটি করেছি।’প্রথম ছবি ছিল বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমানের জীবন নিয়ে। ২০০৭ সালে মুক্তি পায় অস্তিত্বে আমার দেশ। দ্বিতীয় ছবিটি খেলা নিয়ে, জাগো। মুক্তি পায় ২০১০-এ। তৃতীয় ছবি মিস্টার বাংলাদেশ-এ এবার তিনি অভিনেতা হিসেবে আবির্ভূত হলেন। তা–ও একটি নয়, দুটি চরিত্রে। ছবির প্রথম ভাগে তিনি ‘সাফায়েত’, শেষ ভাগে ‘ইব্রাহিম’।খিজির হায়াত বলেন, ‘একটি গোষ্ঠী দেশের তরুণদের ধর্মের অপব্যাখ্যা দিয়ে দলে টানছে। তাদের জঙ্গিবাদের কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। তার বিরুদ্ধে মিস্টার বাংলাদেশ ছবিটি। এই ছবিতে জঙ্গিবাদের উত্থান ও দমন—দুই-ই দেখানো হয়েছে।’এই ছবিটি নির্মাণ করতে গিয়ে কয়েকবার একটি গোষ্ঠী থেকে   মৃত্যুর হুমকি পেয়েছেন, বললেন খিজির হায়াত। বিষয়টি তিনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জানিয়েছেন। মিস্টার বাংলাদেশ নিয়ে প্রত্যাশার কথা জানালেন এই প্রযোজক, ‘জীবনের ঝুঁকি নিয়ে, দেশের প্রতি দায়িত্ববোধ নিয়ে ছবিটি নির্মাণ করেছি। আশা করব, দর্শকেরাও দায়িত্ববোধ নিয়ে ছবিটি প্রেক্ষাগৃহে দেখতে যাবেন।’ছবিটিতে খিজির হায়াতের স্ত্রীর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন সাবেক লাক্স তারকা সানারেই দেবী সানু। পরিচালনা করেছেন আবু আক্তারুল ইমান। এতে আরও অভিনয় করেছেন টাইগার রবি, শামীম হাসান সরকার, সোলায়মান সুখন, ম্যারিয়েল পেলেগ্রীন।সানুকে দেখা যাবে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পের একজন মানবাধিকার চিকিৎসক হিসেবে। সানু বলেন, ‘জঙ্গিবাদবিরোধী গল্প নিয়ে বাণিজ্যিক এই ছবি আমরা সবাই নিজের দায়িত্ববোধ থেকে করেছি।’ তিনি বলেন, ‘শুটিংয়ের দিনগুলোতে অনেক শঙ্কা নিয়ে কাজ করতে হয়েছে।’মিস্টার বাংলাদেশ-এর শুটিং হয়েছে ঢাকা, মধুপুর জঙ্গল, টেকনাফ, কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে। গত বছরের ৭ নভেম্বর শুটিং শুরু হয়। আর মুক্তি পাচ্ছে আগামীকাল, ১৬ নভেম্বর।
382,547
-1
opinion
মতামত
০৬ জুলাই ২০১৫, ০০:০৬
০৬ জুলাই ২০১৫, ০০:১০
সম্পাদকীয়:,মতামত
null
ঈদ মৌসুমে ছিনতাই-চাঁদাবাজি
http://www.prothom-alo.com/opinion/article/570469
ঈদ উৎসব যতই এগিয়ে আসছে, তার সঙ্গে তাল মেলাতেই যেন বাড়ছে ছিনতাই ও চাঁদাবাজি। সরাসরি অস্ত্র ঠেকিয়ে তো বটেই, এর বাইরে অভিনব পদ্ধতিতে ছিনতাই-রাহাজানি চলছে। ঈদে বিপুল কেনাকাটার পাশাপাশি যানবাহনে চলাচল অনেক বেড়ে যাওয়ায় সড়ক-মহাসড়ক ও জনপরিসরে নিরাপত্তার প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। রাজধানীসহ সারা দেশে তাই পুলিশি টহল ও নজরদারি জোরদার করা দরকার।সাধারণভাবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশ কর্তৃপক্ষ ‘দু-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটতেই পারে’ বলে দায় সারতে চায়। কিংবা তারা হয়তো বলবে, ‘আমরা তো আর বসে নেই’। তারা হয়তো দণ্ডায়মান আছে, কিন্তু সাধারণ মানুষকে ঘরে-বাইরে নিরাপদ রাখার মতো পরিবেশ বজায় রাখার জন্য আন্তরিকতা প্রয়োজন। এর অর্থ হলো, অপরাধীরা অপরাধ করার আগেই আগাম ব্যবস্থা নিয়ে রাখা। চিহ্নিত সন্ত্রাসী, ছিনতাইকারী নেটওয়ার্ককে কোণঠাসা করতে হলে যে আপসহীনতা দরকার, আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীতে তার ঘাটতি রয়েছে। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে এসব বাহিনীর সদস্যরা যতটা উৎসাহী, জননিরাপত্তার বেলায় সেটি দেখা যায় না। অপরাধীমাত্রই আইনের চোখে শাস্তিযোগ্য, এই দৃষ্টিভঙ্গির প্রতি বিশ্বস্ত না হলে পরিস্থিতির উন্নতি হবে না।লক্ষ করা গেছে, যেখানেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ত্বরিত তৎপর হয়েছেন, সেখানেই অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে। অথচ বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তাঁরা আসেন ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর এবং খুব কম ক্ষেত্রেই তাঁদের হাত অপরাধীর নাগাল পায়। তবে এও সত্য যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একার পক্ষেও ছিনতাই, রাহাজানি, ডাকাতি দমন করা সম্ভব নয়। এ ক্ষেত্রে রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও সামাজিক প্রতিরোধও প্রয়োজন। অপরাধ দমনে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও ভূমিকা নিতে পারেন। অপরাধীদের প্রতি সব ধরনের রাজনৈতিক প্রশ্রয় বন্ধ করতে হবে। ঈদের আগে সড়ক ও মার্কেটগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার করতে হবে।ঈদ নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন করার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে এখনই সচেষ্ট হতে হবে।
150,770
সেলিম জাহিদ
bangladesh
বাংলাদেশ
০৮ এপ্রিল ২০১৬, ০১:৪৬
০৮ এপ্রিল ২০১৬, ০১:৪৭
রাজনীতি
0
বিএনপির জেলা নেতারা ইউপি নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিপক্ষে
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/823588
বিএনপির জেলা পর্যায়ের অধিকাংশ নেতা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে আর অংশ না নেওয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন। তবে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব অংশ নেওয়ার পক্ষেই আছেন।বিএনপির দায়িত্বশীল একাধিক সূত্র এ তথ্য জানায়। জেলার নেতাদের এ মত উপেক্ষা করে ইউপি নির্বাচনে থাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া আছে। দলের নেতাদের কারও কারও মূল্যায়ন হচ্ছে, নির্বাচনে থাকার সিদ্ধান্ত ঘোষণার পরদিন নাশকতা ও দুর্নীতির পাঁচ মামলায় দলীয় প্রধানের ঢাকার দায়রা জজ আদালতে জামিনের জন্য হাজিরা বা আত্মসমর্পণের একটা প্রভাব থাকতে পারে।দলীয় সূত্রগুলো জানায়, ইউপি নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের পর দলের শীর্ষ নেতৃত্বের পরামর্শে বাকি নির্বাচনে থাকা না–থাকার বিষয়ে বিএনপির মাঠপর্যায়ের নেতাদের মতামত নেওয়া হয়। এতে জেলা ও মহানগর বিএনপির ৮০ জন সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক মত দেন। এর মধ্যে ১৬ জন নির্বাচনে থাকতে এবং ৬৪ জন নির্বাচন বর্জন করতে বলেন। নেতাদের বক্তব্য নিয়ে একটি সারসংক্ষেপ তৈরি করা হয়।জানা গেছে, সৈয়দপুর, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও ও হবিগঞ্জ জেলার নেতারা নির্বাচনে থাকার পক্ষে মত দিয়েছেন। সৈয়দপুর জেলার সভাপতি আবদুল গফুর সরকার ‘নির্বাচনে থাকা উচিত’ বলে মত দিয়ে বলেছেন, ভোটাররা ভোট দিতে না পারলে তাঁদের ক্ষোভ আরও বাড়বে। তবে, রাজশাহীর জেলা বিএনপির সভাপতি নাদিম মোস্তফা মনে করেন, নির্বাচন বর্জন করলে দলের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে।একই জেলা থেকে নির্বাচনে থাকার পক্ষে-বিপক্ষেও মত এসেছে। লালমনিরহাট জেলার সভাপতি আসাদুল হাবিব বলেন, বর্জন না করে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় মাঠে থাকলে কর্মীরা সক্রিয় থাকবে। তাঁর কমিটির সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান বলেছেন, নির্বাচন বর্জন করা ভালো। নির্বাচনে থেকে দলের প্রচুর ক্ষতি হচ্ছে। সামনে আরও বিপর্যস্ত হবে।জেলা নেতাদের পাঠানো মতামত থেকে জানা গেছে, কোনো কোনো নেতা নির্বাচনে থাকার ঝুঁকির কথা বলেছেন। আবার কেউ কেউ তৃতীয় ধাপ শেষে বর্জন করা এবং স্বতন্ত্রভাবে অংশগ্রহণের পরামর্শ দিয়েছেন। এর মধ্যে কুষ্টিয়া জেলার সাধারণ সম্পাদক সোহরাব উদ্দিন বলেন, নির্বাচন বর্জন করা ভালো হবে। এতে জীবনের ঝুঁকি বাড়ছে, নেতা-কর্মীরা হয়রানির শিকার হচ্ছেন।সুনামগঞ্জ জেলার প্রথম যুগ্ম আহ্বায়ক কলিম উদ্দিন আহমেদ (মিলন) বলেন, তৃতীয় ধাপ শেষে পরবর্তী ধাপগুলো বর্জন করা যেতে পারে। আর পাবনা জেলার সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান বলেছেন, পরবর্তী ধাপগুলোতে দলীয় প্রতীকে নির্বাচনে না গিয়ে স্বতন্ত্রভাবে অংশগ্রহণ করা ভালো হবে।বিএনপির সূত্র জানায়, নির্বাচনের ব্যাপারে তৃণমূলের সংখ্যাগরিষ্ঠের অনাগ্রহ দেখে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব ইউপির বাকি ধাপের নির্বাচনগুলোতে অংশ না নেওয়ার মনস্থির করেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত ৩১ মার্চ দলের যুগ্ম মহাসচিব মো. শাহজাহান প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের সঙ্গে দেখা করে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ করে প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন বাতিলের দাবি জানান। তিনি এ-ও বলেন, তৃতীয় ধাপে পরিস্থিতির উন্নতি না হলে পরবর্তী ধাপের নির্বাচনগুলোতে বিএনপি থাকবে কি না, নতুন করে ভাববে।নির্বাচন কমিশন থেকে বের হয়ে মো. শাহজাহান এসব কথা সাংবাদিকদের কাছেও বলেন। পরদিন এ বিষয়ে তিনি প্রথম আলোকে বলেছিলেন, যে খেলার ফলাফল আগে থেকেই নির্ধারিত থাকে, সে খেলা খেলে কী লাভ!কিন্তু তিন দিনের মাথায় বিএনপির এই কঠোর মনোভাবে পরিবর্তন আসে। ৩ এপ্রিল দলের স্থায়ী কমিটি, ভাইস চেয়ারম্যান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা, যুগ্ম মহাসচিব ও সাংগঠনিক সম্পাদকদের বৈঠকে বেশির ভাগ নেতা নির্বাচনে থাকার পক্ষে যুক্তি দেন। পরদিন ৪ এপ্রিল রাতে খালেদা জিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ২০-দলীয় জোটের শরিকদের সঙ্গে বৈঠকেও এর ব্যতিক্রম হয়নি।বৈঠক শেষে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নির্বাচনে থাকার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে বলেন, ‘আমরা গণতন্ত্রের স্বার্থে এবং গণতান্ত্রিক আন্দোলনের চলমান প্রক্রিয়ায় এ নির্বাচনে অংশ নিয়েছি। এ নির্বাচনে আমরা এখনো আছি। শেষ পর্যন্ত থাকব। আমরা দেখতে চাই, এই নির্বাচন কমিশন কতটা খারাপ, অযোগ্য হতে পারে। তারা রাষ্ট্র ও জনগণের সঙ্গে কতটা প্রতারণা করতে পারে।’বিএনপির সূত্র জানায়, দলীয় প্রধান নির্বাচন বর্জন করতে যাচ্ছেন, এমনটি টের পেয়ে দলের ভেতর থেকেই একটি অংশ তা ঠেকানোর উদ্যোগ নেয়। তারই অংশ হিসেবে বিএনপির শুভাকাঙ্ক্ষী বলে পরিচিত একজন বুদ্ধিজীবী খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করেন। জানা গেছে, তিনি বিএনপিকে নির্বাচনে থাকার পরামর্শ দেন। এরপর দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের বৈঠকেও এর রেশ ছিল।ওই সূত্র জানায়, বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন নির্বাচনে থাকার পক্ষে জোরালো মত দেন। তিনি গতকাল বৃহস্পতিবার প্রথম আলোকে বলেন, দুই ধাপের নির্বাচনে পরিষ্কার হয়েছে, দেশে কোনো নির্বাচন হচ্ছে না। দখল হচ্ছে। এরপরও এ নির্বাচনে থাকার যুক্তি হলো, একেবারে গ্রামগঞ্জ পর্যন্ত প্রমাণ করা যে এই সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীন কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না।প্রথম দুই ধাপে ১ হাজার ৩৫৬টি ইউপির নির্বাচনে বিএনপি মাত্র ১০৮ টিতে জিতেছে। এর মধ্যে ২০০টিতে প্রার্থীই দিতে পারেনি। এই ফলের পরেও নির্বাচনে থাকার পক্ষের অংশের নেতারা বলছেন, ইউপি নির্বাচনের শেষ পর্যন্ত থাকলে সরকারের চেহারা আরও নগ্নভাবে উন্মোচিত হবে। তা ছাড়া বিএনপির প্রার্থীরা মাঠে থাকলে কেন্দ্র দখলের রোষ নেতা-কর্মীদের মনে জোরালোভাবে অনুভূত হবে।তৃতীয় ধাপের নির্বাচন সুষ্ঠু হলে বিএনপির অবস্থান দুর্বল হয়ে যাবে কি না, জানতে চাইলে খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘সরকার ইচ্ছা করলেও নির্বাচন আর সুষ্ঠু করতে পারবে না। আমরা এ সরকারের চরিত্র সম্পর্কে জানি। অথর্ব নির্বাচন কমিশনেরও চরিত্র প্রকাশ হয়ে গেছে। ইউপি নির্বাচন শেষ হলে তাদের চেহারা আরও উন্মোচিত হবে।’তৃণমূলের সংখ্যাগরিষ্ঠের মত উপক্ষো করে নির্বাচনে থাকার সিদ্ধান্তের বিষয়ে জানতে চাইলে খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘কীভাবে বুঝব যে তৃণমূল নির্বাচন বর্জনের পক্ষে মত দিয়েছে? কারণ চতুর্থ ধাপের প্রার্থিতার জন্য ধাক্কাধাক্কি, কম্পিটিশন তো কম ছিল না।’
218,329
সুনামগঞ্জ অফিস
bangladesh
বাংলাদেশ
১৪ জুলাই ২০১৬, ১৩:৫৫
১৪ জুলাই ২০১৬, ১৩:৫৬
সুনামগঞ্জ,সিলেট বিভাগ,দুর্ঘটনা
0
ট্রাকচাপায় স্কুলছাত্রী নিহত
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/914062
সুনামগঞ্জের দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলায় আজ বৃহস্পতিবার ট্রাকচাপায় লাকি রানী দাস (১৩) নামের এক স্কুলছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। সে উপজেলার ঘাগলি-নারায়ণপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। নিহত লাকি নারায়ণপুর গ্রামের যতীন্দ্র কুমার দাসের মেয়ে। এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, সকাল ১০টার দিকে লাকি বিদ্যালয়ের পাশে সুনামগঞ্জ-দিরাই সড়কের ঘাগলি এলাকায় রাস্তা পারাপারের সময় মালবাহী একটি ট্রাক তাকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে লাকি মারা যায়। স্থানীয় লোকজন ট্রাকটি আটক করলেও চালক পালিয়ে গেছেন। দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল আমিন জানান, নিহত স্কুলছাত্রীর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ট্রাকচালককে আটকের চেষ্টা চলছে।
239,798
এএফপি
international
আন্তর্জাতিক
২৬ ডিসেম্বর ২০১৬, ০০:৪৬
২৬ ডিসেম্বর ২০১৬, ০০:৪৬
আরব বিশ্ব
0
জাতিসংঘের প্রস্তাব সমর্থনকারীদের রাষ্ট্রদূতকে তলব
http://www.prothom-alo.com/international/article/1046641
ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে বসতি স্থাপন বন্ধ রাখার দাবিতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে প্রস্তাব পাসের ঘটনায় ইসরায়েল গতকাল রোববার তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।জাতিসংঘে ওই প্রস্তাব সমর্থনকারী দেশগুলোর রাষ্ট্রদূতদের তলব করেছে ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।নিরাপত্তা পরিষদের ওই প্রস্তাবে ইসরায়েলকে পূর্ব জেরুজালেমসহ অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের সব স্থানে বসতি স্থাপন কার্যক্রম অবিলম্বে সম্পূর্ণ বন্ধ করতে বলা হয়েছে। পরিষদ গত শুক্রবার ওই প্রস্তাব পাস করে। ১৯৭৯ সালের পর জাতিসংঘে এই প্রথম ইসরায়েলি বসতির নিন্দা জানিয়ে কোনো প্রস্তাব পাস হলো। এটি ভেটো দিয়ে আটকে না দিয়ে ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্র ব্যতিক্রমী নজির দেখিয়েছে। দেশটির কৌশল হিসেবে ভোটদানে বিরত থাকায় পরিষদের অন্য সদস্যদের ভোটে প্রস্তাবটি সর্বসম্মতভাবে পাস হয়।ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ওই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে এটিকে ‘জাতিসংঘে ইসরায়েলের ওপর লজ্জাজনক আঘাত’ আখ্যা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, জাতিসংঘের এই সিদ্ধান্ত ‘একপেশে ও লজ্জাজনক’। তবে তাঁরা এটা আটকাবেন।আলোচিত প্রস্তাবে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কোনো নিষেধাজ্ঞার কথা বলা হয়নি। তবু ইসরায়েল সরকারের নেতা ও কর্মকর্তারা ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) অভিযুক্ত হওয়ার আশঙ্কায় উদ্বিগ্ন। পাশাপাশি তাঁরা ভাবছেন, এই প্রস্তাবের জেরে কোনো কোনো দেশ ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারী এবং সেখানে উৎপাদিত পণ্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিতে পারে। আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী, অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বসতি নির্মাণ অবৈধ। তবে ইসরায়েল তা মানে না।ইসরায়েলি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এমানুয়েল নাহাশন বলেছেন, নিরাপত্তা পরিষদে প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেওয়া দেশের ১৪ জন রাষ্ট্রদূতকে গতকাল জেরুজালেমে তলব করা হয়।
277,631
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা ও মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
২২ ডিসেম্বর ২০১৩, ০১:২২
২২ ডিসেম্বর ২০১৩, ০১:২৫
মির্জাপুর,টাঙ্গাইল,ঢাকা
0
গ্রামে বাবার কবরের পাশে শায়িত হলেন খালেদ খান
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/105148
বিশিষ্ট নাট্যাভিনেতা খালেদ খানকে তাঁর জন্মস্থান টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার মজদই গ্রামে বাবা নজরুল ইসলাম খানের কবরের পাশে গতকাল শনিবার দাফন করা হয়েছে। ঢাকায় সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে গতকালই বিকেল সোয়া পাঁচটায় তাঁর মরদেহ গ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় তাঁকে এক নজর দেখতে হাজারো মানুষের ঢল নামে।খালেদ খানের মরদেহ গ্রহণ করেন গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য কহিনুর ইসলাম, প্রবীণ ব্যক্তিত্ব আবদুল হক খান ও নিকটাত্মীয়রা। মাগরিবের নামাজের পর গ্রামের স্থানীয় কবরস্থান মাঠে তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।খালেদ খান চিরতরে বাকশূন্য হয়ে শুক্রবার রাতে না ফেরার দেশে চলে যান। রাতে শুয়ে ছিলেন হাসাপাতালের হিমঘরে। গতকাল সর্বস্তরের জনগণ তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানান। শেষ কর্মস্থল ইউল্যাব ক্যাম্পাস, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ও শিল্পকলা একাডেমীতে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন অনুষ্ঠান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে জানাজা শেষে তাঁকে নেওয়া হয় মির্জাপুরে বাবার কবরের পাশে। গতকাল সকাল সাড়ে আটটায় হাসপাতালের হিমঘর থেকে তাঁকে শেষবারের মতো নিয়ে যাওয়া হয় তাঁর ধানমন্ডির বাসভবনে। অসম্ভব বিনয়ী এ মানুষটিকে শেষবারের মতো কাছে পেয়ে আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে অশ্রুজলে ভাসেন প্রতিবেশীরাও। সেখান থেকে সকাল নয়টা ৫৫ মিনিটে তাঁকে নেওয়া হয় তাঁর শেষ কর্মস্থল ইউল্যাব ক্যাম্পাসে। এরপর সর্বস্তরের জনগণের শ্রদ্ধানুষ্ঠানের জন্য খালেদ খানের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে।মরদেহ শহীদ মিনারে আনার পর তা গ্রহণ করেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বরা। শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী প্রমুখ। এরপর একে একে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করেন রামেন্দু মজুমদার, অধ্যাপক আনিসুজ্জামান, আতাউর রহমান, সৈয়দ শামসুল হক, কামাল লোহানী, চাষী নজরুল ইসলাম, নুহ-উল-আলম লেলিন, ফেরদৌসী মজুমদারসহ আরও অনেকে। সংগঠন হিসেবে খালেদ খানের মরদেহের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করে শিল্পকলা একাডেমী, সুবচন নাট্য সংসদ, নাগরিক নাট্য সম্প্রদায়, ঋষিজ শিল্পীগোষ্ঠী, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট, বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদ, ক্রান্তি শিল্পীগোষ্ঠী, বহ্নিশিখা, পদাতিক নাট্য সংসদ, ডেইলি স্টার, রবীন্দ্রসংগীত সম্মিলন পরিষদ, চন্দ্রকলা থিয়েটার, রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী সংস্থা, উদীচী, খেলাঘর, টাঙ্গাইল জেলা সমিতি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, দেশ টিভি, চ্যানেল আই, বেঙ্গল ফাউন্ডেশন, ঢাকা থিয়েটার, বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটার, গণসংগীত সমন্বয় পরিষদ, থিয়েটার আর্ট ইউনিট, লোক নাট্যদল, টিভি শিল্পী সংস্থা, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, জাতীয় কবিতা পরিষদ, আরণ্যক নাট্যদল, বাংলাদেশ পথনাটক পরিষদ, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি, বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন।শহীদ মিনার থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় মসজিদে বাদ জোহর তাঁর প্রথম জানাজা সম্পন্ন শেষে শিল্পকলা একাডেমীতে নেওয়া হয়। সেখান থেকে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের মজদই গ্রামে তাঁকে নেওয়া হয়।স্মরণানুষ্ঠান: আগামী ২৪ ডিসেম্বর বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন ও ২৫ ডিসেম্বর নাগরিক নাট্য সম্প্রদায় খালেদ খান স্মরণানুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। ফেডারেশনের সেক্রেটারি জেনারেল ঝুনা চৌধুরী জানান, দুটি অনুষ্ঠানই শিল্পকলা একাডেমীর জাতীয় নাট্যশালায় অনুষ্ঠিত হবে।
37,708
ক্রীড়া প্রতিবেদক
sports
খেলা
০৩ ডিসেম্বর ২০১৬, ১২:৫৭
০৩ ডিসেম্বর ২০১৬, ১৩:৪০
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট
null
ডোয়াইন ব্রাভো নয়, ‘ডিজে ব্রাভো’!
http://www.prothom-alo.com/sports/article/1032919
ডোয়াইন ব্রাভো উইকেট পেলেই হয়, নেপথ্যে বেজে উঠবে ‘চ্যাম্পিয়ন, চ্যাম্পিয়ন...’ গান। গানের তালে নেচে উঠবেন তিনি নিজেও। টুর্নামেন্টে ১১ ম্যাচে ১৭ উইকেট নিয়ে শফিউল ইসলামের সঙ্গে যৌথভাবে ২ নম্বরে আছেন ব্রাভো। ক্যারিবীয় অলরাউন্ডের সংগীত-নৃত্য পরিবেশনা তাই পরিচিত ছবি এই বিপিএলে।মাঠে, মাঠের বাইরে ব্রাভোর উপস্থিতি মানেই নিখাদ বিনোদনের নিশ্চয়তা। টিম বাস, টিম হোটেল, ড্রেসিংরুম দারুণভাবে মাতিয়ে রাখেন এই ক্যারিবীয়। আনন্দ-মজা তো ক্যারিবীয়দের মজ্জাগত। কিন্তু বিনোদনের দূত হিসেবে ব্রাভো নিজেকে চিনিয়েছেন আলাদাভাবে। তাঁর ‘চ্যাম্পিয়ন’ গান এতটাই জনপ্রিয়, কখনো ক্রিকেটার ব্রাভোর চেয়ে সংগীতশিল্পী পরিচয়টা বড় হয়ে ওঠে। নিজেকে সংগীতশিল্পী হিসেবে পরিচয় দিতে যে তিনি নিজেও পছন্দ করেন, সেটি তাঁর জার্সির পেছনে ‘ডিজে ব্রাভো’ বা ‘ডিস্ক জকি ব্রাভো’ লেখা দেখেই বোঝা যায়।ব্রাভো নিজেও মনে করেন চ্যাম্পিয়ন গানটা আলাদা খ্যাতি এনে দিয়েছে তাঁকে, ‘হ্যাঁ, এটা আমাকে অনেক জনপ্রিয়তা দিয়েছে। অনেক ভালোবাসা পেয়েছি। এরই মধ্যে ইউটিউবে ৩ কোটি ২০ লাখবার দেখা হয়েছে গানটা। মানুষকে বলি, ব্রাভো নয়, আমাকে ‘‘ডিজে ব্রাভো’’ বলে ডাকবে (হাসি)। এটা অসাধারণ ব্যাপার, আমি ক্রিকেটেও সফল, সংগীতেও। এতেই প্রমাণ হয়, যদি লেগে থাকেন, তবে জীবনে গুরুত্বপূর্ণ যেকোনো কিছুই অর্জন করতে পারবেন।’ব্রাভো শুধু মৌজমস্তি করতেই পছন্দ করেন, তা নয়। মাঠেও তিনি সমান সফল। ৩৬১ নিয়ে টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি হওয়ার রেকর্ড সেটিই বলছে। তবে ক্রিকেটের ব্যস্ততার মধ্যেও গানে সময় দিয়েছেন, দ্রুত জনপ্রিয় হয়েছেন—কীভাবে সম্ভব হয়েছে সব? ব্রাভো হাসেন, ‘মিউজিক আমাদের সংস্কৃতির অংশ। আমার মনে হয়, এটা বাংলাদেশের সংস্কৃতিরও বড় অংশ। সংগীতের কোনো সীমানা নেই। সংগীতের প্রতি আমার অন্য রকম ভালোবাসা। তবে আমি কোনো মিউজিশিয়ান নই। আমার ভেতর কোনো ধরনের সংগীত প্রতিভাও নেই। আমি যেটি বিশ্বাস করি, সেটা আবেগ দিয়ে করি।’কোনো বাংলা গান জানা আছে কি না জানতে চাইলে সংবাদ সম্মেলনেই ঢাকা ডায়নামাইটসের থিম সংয়ের এক লাইন গেয়ে শোনান। হাসিতে ফেটে পড়ে সবাই। ব্রাভো এমনই, যাঁর সবকিছুতেই থাকে বিনোদনের ছোঁয়া।
270,824
এস এন এম আবদি
opinion
মতামত
২৮ মার্চ ২০১৭, ০০:০৫
২৮ মার্চ ২০১৭, ০০:০৫
মতামত,লেখকের কলাম,প্রতীক বর্ধন
null
ঢাকার মতো করে কাজ করতে হবে
http://www.prothom-alo.com/opinion/article/1121941
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ৭ থেকে ১০ এপ্রিল ভারত সফর করবেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরকে কেন্দ্র করে সেখানকার পত্রপত্রিকায় বিভিন্ন লেখা ছাপা হচ্ছে। চণ্ডীগড়ের দ্য ট্রিবিউন এবং কলকাতার দ্য টেলিগ্রাফ–এ প্রকাশিত দুটি নিবন্ধ প্রথম আলোর পাঠকদের জন্য অনুবাদ করে ছাপানো হলো।এপ্রিলের ৭-১০ তারিখ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের কথা রয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ায় পাকিস্তানকে একঘরে করে ফেলার যে নীতি নরেন্দ্র মোদি নিয়েছেন, তাতে শেখ হাসিনা সমর্থন দিলেও দেশ দুটির সম্পর্কে মারাত্মক গড়বড় দেখা যাচ্ছে। শেখ হাসিনা বাংলাদেশের মাটি থেকে ভারতবিরোধী শক্তি ঝেঁটিয়ে বিদায় করেছেন। সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধে নিজে উদ্যোগী হয়ে ভারতের সঙ্গে অংশীদারি গড়ে তুলেছেন। এমনকি নয়াদিল্লিকে মহা স্বস্তিকর ট্রানজিটও দিয়েছেন। কিন্তু যৌক্তিক কারণ না থাকা সত্ত্বেও তাঁর সফর যে তিন মাসে দুবার পেছাল, তাতে বোঝা যায়, সবকিছু ভালো নয়।বাংলাদেশ আমাদের পেছনের উঠান হলেও দেশটি একদম অল্প সময়ের মধ্যে বিস্ফোরণমুখর হয়ে উঠতে পারে। আমরা এখন হাসিনার জন্য অপেক্ষা করছি, কিন্তু ২০০১ সালে বিডিআর কর্তৃক ১৬ জন বিএসএফ সেনাকে হত্যার ঘটনা আমরা ভুলতে  পারি না।কথা হচ্ছে, আমরা যদি প্রকৃত বন্ধু হাসিনার পাশে দাঁড়াতে না পারি, তাহলে ভারতের ভাবমূর্তি আবারও ফুটো হয়ে যেতে পারে—এমন আশঙ্কা খারিজ করা যায় না। বাংলাদেশের স্বাধীনতায় নয়াদিল্লির ভূমিকা ও দীর্ঘকাল ভারতের রাজনৈতিক আশ্রয়ে থাকার সময় তিনি ইন্দিরা গান্ধী, প্রণব মুখার্জির যে স্নেহ ও ভালোবাসা পেয়েছিলেন, তার প্রতি কৃতজ্ঞতাস্বরূপ তিনি কখনো কখনো ভারতের স্বার্থকেই বেশি প্রাধান্য দিয়েছেন।এই অবস্থায় এস জয়শঙ্কর, অজিত দোভাল এবং শহিদুল হক ও তারিক আহমেদের মতো অভিজ্ঞ মানুষদের নেতৃত্বে ভারত ও বাংলাদেশের কূটনৈতিক ও নিরাপত্তা মহল তিস্তা চুক্তি বা বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের ক্রমবর্ধমান সম্পর্কের মতো ব্যাপারগুলো মিটিয়ে ফেলতে পারে। কিন্তু ক্ষমতাসীন বিজেপির মুসলিম প্রতিবেশীদের প্রতি ঘৃণার কারণে তারা বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে। বিজেপির হিন্দুত্ববাদী নীতির কারণে বাংলাদেশ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে। এটা দুই দেশের সম্পর্কের মধ্যে গোঁজ ঢুকিয়ে দিচ্ছে। ফলস্বরূপ, ভারতের জাতীয় স্বার্থ ব্যাহত হচ্ছে।হাসিনার আওয়ামী লীগ সরকার যখন ভারতকে সন্তুষ্ট করতে চাচ্ছে, তখন বিজেপি বাংলাদেশিদের অবৈধ অনুপ্রবেশকারী হিসেবে চিহ্নিত করছে। তাঁরা গরুর মাংসভুক অপরাধী, যাঁরা নিজ দেশে হিন্দুদের নিপীড়ন করেন। ২০১৪ সালের সাধারণ নির্বাচন এবং আসাম ও পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যসভা নির্বাচনের সময় বিজেপি চরম বাংলাদেশবিরোধী ইশতেহার দিয়েছিল।নরেন্দ্র মোদিও প্রচারণার সময় বাংলাদেশবিরোধী কথা বলেছেন। বাংলাদেশি অভিবাসীদের হিন্দু ও মুসলমানে বিভক্ত করে মোদি ঘোষণা দিয়েছিলেন, তিনি ক্ষমতায় এলে যাঁরা দেবী দুর্গার আরাধনা করেন তাঁদের স্বাগত, অন্যদের ব্যাগ গুছিয়ে ফেরত যেতে হবে।তিনিসহ বিজেপির অন্য প্রচারকেরা বারবার বাংলাদেশি মুসলমানদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন, তাঁরা ভারতকে ‘ধ্বংস’ করছেন। প্রকৃত প্রস্তাবে তিনি বাংলাদেশকে শত্রুরাষ্ট্র হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। ধর্মের ভিত্তিতে বিজেপি মুসলিম অভিবাসীদের ‘অনুপ্রবেশকারী’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। যেখানে মোদি হিন্দুদের ‘শরণার্থী’ ও ‘ভারত মাতার সন্তান’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন, যাঁরা আশ্রয় পাওয়ার দাবিদার।ক্ষমতায় আসার পর প্রথম কাজ হিসেবে মোদি বাংলাদেশে গরু রপ্তানি বন্ধ করে দেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং বিএসএফকে বহুকাল ধরে চলে আসা অবৈধভাবে গরু রপ্তানি বন্ধের নির্দেশ দেন। পরবর্তীকালে তিনি জনসমক্ষে গর্ব করে বলেন, এই নিষেধাজ্ঞার কারণে মুসলিম দেশগুলোতে গরুর দাম এত বেড়ে গেছে যে সেখানে চাহিদা পড়ে গেছে। রাজনাথ সিং এই প্রচারণার কৃতিত্ব নিতে মোটেও কসুর করেননি।এরপর বাংলাদেশের হিন্দুদের নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য বিজেপি নাগরিকত্ব আইন সংশোধনের চেষ্টা করে। এটা তো অসাংবিধানিক বটেই, তদুপরি এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধে পরোক্ষ অভিযোগ আনা হলো, তারা এতটাই ধর্মীয় অসূয়াসম্পন্ন যে দেশটির হিন্দুরা ভারতে পালিয়ে আসছে। অন্যদিকে নয়াদিল্লি দাবি করে, পররাষ্ট্রনীতি-বিষয়ক তাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য হচ্ছে, আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করা। অন্যদিকে ভারত বাংলাদেশের হিন্দুদের নাগরিকত্ব দেওয়ার প্রস্তাব দিচ্ছে। অথচ বাংলাদেশের হিন্দুদের আওয়ামী লীগকে ভোট দেওয়ার ইতিহাস আছে।এ ধরনের হিন্দুত্ববাদী লক্ষ্য, যেমন গরু রপ্তানি বন্ধ ও ভারতকে হিন্দুদের মাতৃভূমি বানানো—এসব করে বিজেপির ভোট বাড়তে পারে। অর্থাৎ, তাদের সংকীর্ণ স্বার্থ সংরক্ষিত হতে পারে, কিন্তু ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের পরিপ্রেক্ষিতে এটা ভারতের জাতীয় স্বার্থের অনুকূল নয়। ভারত যদি বাংলাদেশকে মুসলিম দেশ হিসেবে খাটো করে বা কৌশলগত মিত্র হিসেবে বাংলাদেশের প্রতি সম্মান না দেখায়, তাহলে দেশ দুটির সম্পর্ক কখনোই পূর্ণ বিকশিত হবে না। অথবা এটা ভালো প্রতিবেশিত্বের উদাহরণ হবে না।বাংলাদেশকে অপবাদ না দিয়ে ‘সবকা সাথ সবকা বিকাশ’ কীভাবে বাস্তবায়ন করা যায়, সেটা আমরা শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ সরকারের কাছ থেকে শিখতে পারি। বাংলাদেশ ২০১১ সালে শত্রু সম্পত্তি আইন বাতিল করেছে। এর মাধ্যমে হিন্দুরা জমি ফিরে পাবে। বিজেপি আসামে ‘জনসংখ্যাগত আগ্রাসন’-এর ধুয়া তুলে ক্ষমতায় এসেছে, অথচ মানব উন্নয়ন সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান আসামের চেয়ে অনেক ভালো। তার মাথাপিছু আয় আসামের চেয়ে ৭০ শতাংশ বেশি। এতেই বিজেপির মিথ্যাচার একদম পরিষ্কার হয়ে যায়। এ ছাড়া ভারতের প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ বাংলাদেশে চাকরিসূত্রে বসবাস করেন। বিশ্বব্যাংকের তথ্যমতে, ভারতের রেমিট্যান্সের উৎসের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান পঞ্চম; সংযুক্ত আরব আমিরাত, যুক্তরাষ্ট্র, সৌদি আরব ও যুক্তরাজ্যের পর।বিজেপির কাছ থেকে মনোভাব ধার নিয়ে গত নভেম্বরে ভারতীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহর পারিকরের নেতৃত্বে যে প্রতিনিধিরা বাংলাদেশে গিয়েছিলেন, তাঁরা বাংলাদেশি প্রতিনিধিদের অপমান করেছিলেন। আনন্দবাজার পত্রিকার মতে, এ কারণেই হাসিনা ১৮-২০ ডিসেম্বরের সফর স্থগিত করেন। ২৬ জানুয়ারির প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে প্রধান অতিথি শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ দিয়ে ভারত যে অসংবেদনশীল মন্তব্য করেছিল, সেটা তার শোধরানো উচিত।কিন্তু ভারত হাসিনার মতো কৌশলগত মিত্রকে আস্থায় না নিয়ে আবুধাবির যুবরাজ মোহামেদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানকে আস্থায় নেয়। সুষমা স্বরাজের মধ্যে মাতৃরূপ আছে। সৌভাগ্যবশত তিনি গুরুত্বপূর্ণ পদে ফেরত গেছেন। আরেকজন গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় হলেন রাম মাধব। বিজেপির পররাষ্ট্র সেলের মানুষ তিনি, সম্প্রতি প্রতিবেশীদের ব্যাপারে তাঁর তীব্র আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে।হাসিনার বহুদিনের বকেয়া সফরের আগে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে তাঁদের একত্রে কাজ করা উচিত।অনুবাদ: প্রতীক বর্ধন। ট্রিবিউনইন্ডিয়া.কম থেকে নেওয়া। (ঈষৎ সংক্ষেপিত)এস এন এম আবদি: কলকাতাভিত্তিক জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক।
307,424
নিজস্ব প্রতিবেদক, কক্সবাজার ও টেকনাফ প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫, ০১:১০
০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫, ০১:১০
বিশাল বাংলা,অপরাধ
0
মানব পাচার মামলার দুই আসামি গ্রেপ্তার
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/620488
কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়া থেকে মানব পাচার মামলার পলাতক দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার টেকনাফ ও উখিয়া থানা-পুলিশের পৃথক অভিযানে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর মধ্যে টেকনাফের সাবরাং থেকে গ্রেপ্তার করা মৌলভি আলী আহমদকে, যিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত মানব পাচারকারী বলে পুলিশ জানায়। তাঁর বিরুদ্ধে হত্যা মামলাও রয়েছে।টেকনাফ মডেল থানার ওসি মো. আতাউর রহমান খন্দকার জানান, গতকাল সকালে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশের একটি দল উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নে লাফারঘোনা এলাকার একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে আলী আহমদকে গ্রেপ্তার করে।ওসি বলেন, মালয়েশিয়ায় পাচারের জন্য তিন ব্যক্তিকে গত ৬ মে আলী আহমদ তাঁর বাড়ির পাশে আরেক একটি বাড়িতে নিয়ে যান। কিন্তু ওই বাড়ির মালিক তিনজনকে আশ্রয় দিতে রাজি না হওয়ায় আলী আহমদের নেতৃত্বে কয়েকজন লোক ওই বাড়িতে হামলা করে। তাদের হামলায় নছিমা খাতুন নামের এক নারী নিহত হন। হামলায় নাছিমার দুই মেয়েও আহত হয়। পরের দিন আলী আহমদসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করা হয়।উখিয়া: কক্সবাজারের উখিয়া থেকে মানব পাচার মামলার আসামি ইমাম হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। উখিয়া থানার ওসি জহিরুল ইসলাম খান বলেন, উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের দরগাহবিল গ্রাম থেকে গতকাল সকালে ইমাম হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
165,568
আক্কেলপুর (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
১৯ নভেম্বর ২০১৩, ০০:২৪
১৯ নভেম্বর ২০১৩, ০০:২৫
আক্কেলপুর,জয়পুরহাট,রাজশাহী বিভাগ,বিশাল বাংলা
0
সড়কে ১২ ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/76801
জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে গত রোববার দিবাগত রাতে গমবোঝাই একটি ট্রাক উল্টে যাওয়ায় ১২ ঘণ্টা সড়ক যোগাযোগ বন্ধ থাকে। আক্কেলপুর-জয়পুরহাট সড়কের হালির মোড় এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। ওই ট্রাক থেকে সরকারি খাদ্যগুদামের সিলযুক্ত ৩৪০ বস্তা গম জব্দ করেছে পুলিশ।প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, ওই সড়ক দিয়ে মালবোঝাই একটি ট্রাক জয়পুরহাটের দিকে যাচ্ছিল। রাত তিনটার দিকে হালির মোড় অতিক্রম করার পর ট্রাকটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কে উল্টে যায়। এতে সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ঘটনার পরই ট্রাকের চালক ও সহকারী পালিয়ে যান। দুর্ঘটনার পর থেকে গতকাল সোমবার বেলা তিনটা পর্যন্ত যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল।
29,131
নিজস্ব প্রতিবেদক, কুমিল্লা
bangladesh
বাংলাদেশ
২২ নভেম্বর ২০১৫, ০১:৩২
২২ নভেম্বর ২০১৫, ০১:৩৩
কুমিল্লা,চট্টগ্রাম বিভাগ,বিশাল বাংলা
0
জাতীয়করণের দাবিতে মিছিল, সড়ক অবরোধ
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/690304
কুমিল্লার বুড়িচং এরশাদ ডিগ্রি কলেজটি জাতীয়করণের দাবিতে শিক্ষার্থীরা গতকাল শনিবার বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধ করেছেন। এ দাবিতে সকালে তাঁরা কলেজের প্রশাসনিক ভবনে তালা লাগিয়ে দেন। এদিন কলেজে কোনো ক্লাস হয়নি।কলেজের অন্তত তিনজন শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, গতকাল সকাল ১০টার দিকে কলেজের প্রশাসনিক ভবন, শিক্ষক মিলনায়তন ও কার্যালয়ে তালা লাগিয়ে দেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। এরপর কলেজের অন্তত ৬০০ জন শিক্ষার্থী ক্লাস বর্জন করে কুমিল্লা-বুড়িচং সড়ক অবরোধ করেন। তাঁরা কলেজ ফটকের সামনের সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেন। টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে রাখেন। এ সময় সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। দুই ঘণ্টা পর উপজেলা ও কলেজ প্রশাসনের হস্তক্ষেপে শিক্ষার্থীরা অবরোধ তুলে নেন। প্রশাসনিক ভবনের তালা খুলে দেওয়া হয়। এদিন কলেজে কোনো ক্লাস হয়নি।কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে জাতীয়করণের লক্ষ্যে প্রতি উপজেলায় একটি করে মানসম্মত কলেজকে বেছে নেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে অগ্রাধিকারভিত্তিতে বুড়িচং এরশাদ ডিগ্রি কলেজটির জাতীয়করণ হওয়ার কথা। কিন্তু একটি মহল উপজেলা সদরে অবস্থিত কলেজটিকে বাদ দিয়ে প্রত্যন্ত অঞ্চলের একটি কলেজকে জাতীয়করণ করার পাঁয়তারা করছে। এর বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছে। উপজেলার মানসম্মত কলেজ হিসেবে আমাদের কলেজের সুনাম রয়েছে। আমরাও চাই এ কলেজটি জাতীয়করণ করা হোক।বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উত্তম কুমার বড়ুয়া বলেন, শিক্ষার্থীরা কলেজ জাতীয়করণের দাবিতে কিছুক্ষণ সড়কে এসে বিক্ষোভ করে।
176,727
জামালপুর প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
১১ জানুয়ারি ২০১৬, ০০:৩৭
১১ জানুয়ারি ২০১৬, ০০:৩৮
জামালপুর,ঢাকা বিভাগ,বিশাল বাংলা
0
ইসলামপুরে স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁধ সংস্কার
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/736573
জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার নোয়ারপাড়া ইউনিয়নের তাড়তাপাড়া গ্রামে গত বছরের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধটি সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছেন ইউনিয়নবাসী। গত বৃহস্পতিবার কয়েক হাজার মানুষ সংস্কারকাজের জন্য মাটিকাটা শুরু করেন।গ্রামবাসী সূত্রে জানা যায়, ২০১২ সালের আগে বর্ষা মৌসুম আসার আগেই এ অঞ্চলে শুরু হতো বন্যা ও ভয়াবহ নদীভাঙন। ভাঙনে যমুনাপারের কৃষক দিশেহারা হয়ে ওঠেন। সারা বছরের খাবার যে ঘরে রাখা হয়, সেই ঘরবাড়িই যমুনার করালগ্রাসে বিধ্বস্ত হতো। স্বেচ্ছাশ্রম ও সরকারি বিভিন্ন বিশেষ বরাদ্দের মাধ্যমে ২০১২ সালে তাড়তাপাড়া গ্রামে যমুনা নদীর এক শাখা খালে প্রায় তিন কিলোমিটার দীর্ঘ বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণ করা হয়। কিন্তু গত বছরের বন্যায় বাঁধটির ১ হাজার ২০০ মিটার ভেঙে যায়। বাঁধটি ভেঙে যাওয়ায় আগামী বর্ষা মৌসুমে গোটা এলাকায় বন্যার আশঙ্কা করছেন ইউনিয়নবাসী। এর পরিপ্রেক্ষিতে পুরো ইউনিয়নের মানুষ একজোট হয়ে বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে বাঁধটির সংস্কারের কাজ শুরু করেন।বৃহস্পতিবার বিকেলে সরেজমিনে দেখা যায়, কয়েক হাজার মানুষ যমুনা নদীর তীরে জড়ো হয়েছেন। তাঁরা মোনাজাত ও মিষ্টিমুখের মধ্য দিয়ে দূর থেকে টুকরিতে মাটি এনে এবং বালু বস্তায় ভরে বাঁধের ভেঙে যাওয়া অংশে ফেলতে শুরু করেন। এ সময় তাড়তাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা কবীর আহম্মেদ বলেন, ‘ভাঙনের এ স্থান থেকে প্রায় তিন-চার কিলোমিটার দূরে বাড়িঘর ছিল। আমি ১০ বার নদীভাঙনের শিকার হয়েছি। তবে বাঁধটির কারণে গত তিন বর্ষায় এ অঞ্চলের মানুষ ভাঙনের কবলে পড়েনি। বাঁধের কল্যাণে নদীর দুই পাশে জেগে ওঠা চরে নানান জাতের শস্যের আবাদ এরই মধ্যে দরিদ্র কৃষকের মুখে হাসি ফুটিয়েছে। কিন্তু গত বর্ষা মৌসুমে বাঁধটির মাঝখানে ভেঙে যাওয়ায় আগামী বর্ষা মৌসুমে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছি আমরা।’ হারগিলা গ্রামের আবদুল হাকিম বলেন, এ বাঁধটি সংস্কার করা গেলে ইউনিয়নের ২০ হাজার মানুষ নদীভাঙনের ক্ষতি থেকে রক্ষা পাবে।নোয়ারপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মশিউর রহমান বলেন, ‘ওই বাঁধের কারণে গত তিন বর্ষা মৌসুমে ইউনিয়নের মানুষ বন্যা ও ভাঙনের কবলে পড়েনি। তাই আগামী বর্ষা আসার আগেই এলাকার মানুষ নিজেদের পকেটের টাকা দিয়ে বাঁধটি সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছেন। এই বাঁধটি এখন গোটা এলাকার মানুষের প্রাণের দাবি। আমিও বাঁধটির গুরুত্বের কথা ভেবে এটিকে স্থায়ী ও টেকসইভাবে সংস্কারের জন্য গ্রামবাসীর সঙ্গে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। সরকারি সহযোগিতা পেলে বাঁধটির দ্রুত সংরক্ষণ আরও সহজ হবে।’জামালপুরের পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী নব কুমার চৌধুরী বলেন, বাঁধটিকে মজবুতভাবে নির্মাণের জন্য একটি প্রকল্প ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন হলে বাঁধ নির্মাণ শুরু হবে।
191,459
নিজস্ব প্রতিবেদক
bangladesh
বাংলাদেশ
২৫ জুলাই ২০১৩, ০২:৪৮
২৫ জুলাই ২০১৩, ০২:৫০
আইন ও বিচার
null
মানবতাবিরোধীরা ভোটার থাকতে পারবেন না
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/29518
মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধকারী হিসেবে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সাজা পাওয়া ব্যক্তিরা ভোটার হতে পারবেন না। আগে থেকে কারও নাম ভোটার তালিকায় থাকলে তা বাদ দেওয়া হবে। এমন বিধান রেখে ভোটার তালিকা আইন সংশোধনের প্রস্তাব চূড়ান্ত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।গতকাল বুধবার নির্বাচন কমিশনের বৈঠকে এই সুপারিশ চূড়ান্ত করা হয়। কয়েক দিনের মধ্যে প্রস্তাবটি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে বলে কমিশন সচিবালয় সূত্র জানায়। এর আগে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে, মানবতাবিরোধী অপরাধীদের নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণার সুপারিশ করা হয়েছে।বৈঠক শেষে নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ সাংবাদিকদের বলেন, সংবিধানে আছে, ১৯৭২ সালে করা যোগসাজশকারী বা দালাল আইনে যাঁরা দোষী প্রমাণিত হবেন, তাঁরা ভোটার হতে পারবেন না। কিন্তু বর্তমানে এই দালাল আইন কার্যকর নয়। যুদ্ধাপরাধী বা মানবতাবিরোধীদের বিচার হচ্ছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে। সে জন্য কমিশন ভোটার তালিকা আইনে নতুন বিধান যোগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।কমিশন ভোটার তালিকা আইনের ৯ ধারায় নতুন দুটি উপধারা যোগ করার প্রস্তাব করেছে। এতে বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি ১৯৭২ সালের বাংলাদেশ যোগসাজশকারী (বিশেষ ট্রাইব্যুনাল) আদেশের অধীন কোনো অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হলে এবং যুদ্ধাপরাধী বা মানবতাবিরোধী অপরাধী হিসেবে কোনো জাতীয় বা আন্তর্জাতিক আদালত বা ট্রাইব্যুনালে দোষী সাব্যস্ত হলে তিনি ভোটার হওয়ার অযোগ্য হবেন।কমিশন ভোটার তালিকা আইনের ১৩ ধারা বাদ দিয়ে সেখানে নতুন একটি ধারা প্রতিস্থাপনের প্রস্তাব করেছে। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত আছে, এমন কোনো ব্যক্তি বাংলাদেশের নাগরিক না হলে বা কোনো আদালত কর্তৃক অপ্রকৃতিস্থ বলে ঘোষিত হলে বা ১৯৭২ সালের বাংলাদেশ যোগসাজশকারী (বিশেষ ট্রাইব্যুনাল) আইনে দোষী সাব্যস্ত হলে বা যুদ্ধাপরাধী বা মানবতাবিরোধী অপরাধী হিসেবে কোনো জাতীয় বা আন্তর্জাতিক আদালত বা ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক দোষী সাব্যস্ত হলে, তাঁর নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ যাবে।সম্প্রতি কমিশন দালাল আইনে সাজা পাওয়াদের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে দালাল আইনে সাজা পাওয়াদের নামের তালিকা চাওয়া হয়েছে। জবাবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দালাল আইনে সাজা পাওয়া ৩৭ ব্যক্তির নাম সরবরাহ করেছে। এ ছাড়া দালাল আইনে বিচারাধীন ছিলেন এমন আরও কিছু ব্যক্তির নাম পাঠিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।কমিশন সচিবালয় জানিয়েছে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পাঠানো তালিকায় অভিযুক্ত বা সাজা পাওয়া ব্যক্তিদের অনেকের ঠিকানাসহ অন্যান্য তথ্য অসম্পূর্ণ। সে জন্য কমিশন সম্পূর্ণ তথ্য পাঠানোর জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে দ্বিতীয় দফায় চিঠি দিয়েছে। একই সঙ্গে কমিশন ভোটার তালিকা থেকে সাজা পাওয়াদের নাম খুঁজে বের করার জন্য তালিকাটি ছবিসহ জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগে পাঠিয়েছে।
4,985
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
০৮ এপ্রিল ২০১৬, ০৮:১৫
০৮ এপ্রিল ২০১৬, ০৯:০৯
দুর্ঘটনা,টাঙ্গাইল
0
টাঙ্গাইলে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/823747
টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার রসুলপুরে ট্রাকের ধাক্কায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার দুই যাত্রী নিহত ও তিনজন আহত হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল সাতটার দিকে টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে একজনের পরিচয় জানা গেছে। তাঁর নাম শহর আলী (২৫)। বাড়ি লালমনিরহাটে। আহত ব্যক্তিরা টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।হাইওয়ে পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. শাহ আলমের ভাষ্য, অটোরিকশাটি এলেঙ্গা থেকে টাঙ্গাইলের দিকে যাচ্ছিল। রসুলপুর এলাকায় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাক অটোরিকশাটিকে ধাক্কা দেয়।দুজনের লাশ টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজের মর্গে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
218,278
বিশেষ প্রতিনিধি, কুমিল্লা থেকে
bangladesh
বাংলাদেশ
০১ এপ্রিল ২০১৬, ০১:৫০
০১ এপ্রিল ২০১৬, ০১:৫২
কুমিল্লা
0
জন্মদিনে ১১টি মোমবাতি জ্বালিয়ে তনুকে স্মরণ
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/816208
সোহাগী জাহান তনুর ১৯তম জন্মদিন ছিল গতকাল বৃহস্পতিবার। কলেজে ভর্তি হওয়ার পর গত বছর তাঁর জন্মদিন পালন করেছিল ভিক্টোরিয়া কলেজ থিয়েটার। গতকালও থিয়েটারের সদস্যরা একত্র হয়েছেন, তবে কেক কেটে জন্মদিন পালন করতে নয়, বিচারের দাবি নিয়ে। তাঁরা সন্ধ্যায় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ শহীদ মিনারে ১১টি মোমবাতি জ্বালিয়ে সহশিল্পী তনুকে স্মরণ করেন।ভিক্টোরিয়া কলেজ থিয়েটারের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আনোয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা থিয়েটারের সব সদস্যের জন্মদিনই জাঁকজমকভাবে পালন করেন। গত বছরের ৩১ মার্চ তনুর জন্মদিনও সেভাবে পালন করেছিলেন। কিন্তু এবার তনু আর নেই। ১১ দিন আগে নৃশংসভাবে খুন হয়েছেন। সে কারণে তাঁরা ১১টি মোমবাতি জ্বালিয়ে তনুকে স্মরণ করেছেন। একই সঙ্গে চেয়েছেন খুনিদের গ্রেপ্তার ও বিচার।আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘এখন পর্যন্ত তদন্তের নামে যা হচ্ছে, সবই সান্ত্বনামূলক বলে মনে হচ্ছে। আমরা সান্ত্বনামূলক কিছু চাই না। আমরা চাই বিচার। আমরা আসল খুনিকে দেখতে চাই।’ভিক্টোরিয়া কলেজের শহীদ মিনারকে এর আগে ‘তনুমঞ্চ’ ঘোষণা করেন আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রী ও থিয়েটারের কর্মীরা। তাঁরা প্রতিদিন বিচারের দাবিতে এখানে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেন। গতকাল সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। বিক্ষোভ থেকে ৭২ ঘণ্টার সময়সীমা বেঁধে দেন তাঁরা। ওই সময়ের মধ্যে খুনিদের শনাক্ত করতে না পারলে তাঁরা কঠোর আন্দোলনে যাবেন বলে হুঁশিয়ারি দেন।গতকাল মুঠোফোনে তনুর বাবা ইয়ার হোসেন বলেছিলেন, ‘ছোটবেলায় জন্মদিনে তনুর অনেক বায়না থাকত। সাধ্যমতো তা মেটানোর চেষ্টা করতাম। এখন তো সব শেষ।’ তাঁর জন্য দোয়া করেই ১৯তম জন্মদিন পার করছেন বলে জানালেন তিনি।
216,126
-1
bangladesh
বাংলাদেশ
২৯ আগস্ট ২০১৩, ০২:২৫
২৯ আগস্ট ২০১৩, ০২:২৬
-1
0
মৃত্যুবার্ষিকী
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/42891
কাজী জাহান আরা বেগমআরমানিটোলা নিউ গভর্মেন্ট গার্লস হাইস্কুলের শিক্ষিকা কাজী জাহান আরা বেগমের সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ ২৯ জুলাই। এ উপলক্ষে রাজধানীর বকশীবাজারের ২২/এ, বুয়েট টিচার্স কোয়ার্টারে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে এতে সবাইকে উপস্থিত থাকতে অনুরোধ করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি।এম টি আলমসাংবাদিক এম টি আলমের ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ ২৯ আগস্ট। এ উপলক্ষে তাঁর নিজ বাসভবনে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। এতে সবাইকে উপস্থিত থাকতে অনুরোধ করা হয়েছে। এম টি আলম ডেইলি ডন, বাংলাদেশ টাইমস, নিউ নেশন, মর্নিং সান ও ফিনানন্সিয়াল এক্সপ্রেস পত্রিকায় বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। বিজ্ঞপ্তি।মুনতাযিরুল হাই সাবিরআজ ২৯ আগস্ট ডা. মুনতাযিরুল হাই সাবিরের ১৪তম মৃত্যুবার্ষিকী। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য আতফুল হাই শিবলী ও নাজিয়া খাতুনের জ্যেষ্ঠ ছেলে সাবির ১৯৯৯ সালের এই দিনে সেরিব্রাল ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করেছিলেন। এ উপলক্ষে পরিবারের পক্ষ থেকে কাল শুক্রবার বনানীর বাসভবনে দোয়া-মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া রাজশাহীর একটি এতিমখানায় দোয়া হবে। বিজ্ঞপ্তি।রাসেল ভূঁইয়ানারায়নগঞ্জের রূপগঞ্জ থানার শিল্পপতি রাসেল ভূঁইয়ার ১৩তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ ২৯ আগস্ট। এ উপলক্ষে তাঁর নিজ শিল্পপ্রতিষ্ঠান রাসেল পার্কে বাদ আসর দোয়া, মিলাদ ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। এ ছাড়া রূপগঞ্জে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকেও নানা কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি।
12,704
রোজিনা ইসলাম
bangladesh
বাংলাদেশ
১৩ জানুয়ারি ২০১৭, ০২:৫৮
১৩ জানুয়ারি ২০১৭, ০৩:০১
আইন ও বিচার
null
জেলে বসে ছাত্রলীগ নেতাকে হত্যার নির্দেশ সাংসদের
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1058591
সাংসদ আমানুর রহমান খান ওরফে রানা কারাগারে বসেই টাঙ্গাইলের এক ছাত্রলীগ নেতাকে হত্যার পরিকল্পনা করেছেন। এরপর সাংসদের নির্দেশেই এলাকায় তাঁরই ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত অস্ত্রধারীরা ঘাটাইল ব্রাহ্মশাসন গণবিশ্ববিদ্যালয় (জিবিজি) কলেজ ছাত্রসংসদের সহসভাপতি (ভিপি) ছাত্রলীগের নেতা আবু সাঈদ ওরফে রুবেলকে হত্যার জন্য হামলা চালায়। এই হত্যাচেষ্টার মামলায় গ্রেপ্তার এক আসামি আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে এই স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। পুলিশ সদর দপ্তর এ ব্যাপারে একটি ‘বিশেষ প্রতিবেদন’ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে।টাঙ্গাইল-৩ আসনের আওয়ামী লীগের সাংসদ আমানুর রহমান খান এলাকার আলোচিত একটি হত্যা মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি হিসেবে চার মাস ধরে কারাগারে আছেন। এলাকায় অত্যন্ত প্রভাবশালী ও দাপুটে হিসেবে খান পরিবারের পরিচিতি রয়েছে।গত বছরের ৯ নভেম্বর রাতে ঘাটাইল এলাকায় অস্ত্রধারীরা ছাত্রলীগের নেতা আবু সাঈদের ওপর হামলা চালায়। গুরুতর জখম আবু সাঈদকে প্রথমে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এখন পঙ্গু অবস্থায় তিনি নিজ বাসায় ফিরে গেছেন।ঘটনার পরদিন ১০ নভেম্বর ১৭ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়। আসামিরা সবাই সাংসদ আমানুরের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। পুলিশ ঘাটাইল থেকে আ. জুব্বার ওরফে বাবু, আদালতে হাজিরা দিতে যাওয়ার সময় ছাত্রলীগের নেতা আতিকুর রহমান এবং মধুপুর থেকে যুবলীগের নেতা আজিজুল হক রুনুকে গ্রেপ্তার করে। জুব্বার সাংসদ আমানুরের ঘাটাইল উপজেলা সদরের স মিল রোডের বাড়িটি দেখাশোনা করতেন। আতিকুর ও আজিজুলও সাংসদ আমানুরের ঘনিষ্ঠ বলে এলাকায় পরিচিত।পুলিশের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, জুব্বার ২০ ডিসেম্বর টাঙ্গাইলের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম শেখ সামিদুল ইসলামের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে বলেছেন, সাংসদ আমানুরের নির্দেশেই তাঁরা ছাত্রলীগের নেতা আবু সাঈদের ওপর হামলা করেন। কারাগারে সাংসদ আমানুরের সঙ্গে সাক্ষাতে এবং তাঁর ঘাটাইলের বাসায় বসে কয়েক দফায় হামলার পরিকল্পনা করা হয়।হামলার শিকার আবু সাঈদ গতকাল বৃহস্পতিবার প্রথম আলোকে বলেন, সাংসদ আমানুরের বিরোধী প্যানেল থেকে জিবিজি কলেজ ছাত্রলীগের নেতা নির্বাচিত হওয়ায় প্রতিশোধপরায়ণ হয়ে সাংসদ তাঁর লোকজন দিয়ে হামলা করেছেন। ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁর ওপর ৩৮টি আঘাত করা হয়েছে। তাঁর হাতের দুটি আঙুল কেটে ফেলে হামলাকারীরা। সাঈদ এখন হাঁটতে পারেন না, হুইলচেয়ারে চলাফেরা করেন।স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলার আসামি সাংসদ আমানুর দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। একই মামলার আসামি তাঁর তিন ভাই টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র সহীদুর রহমান খান ওরফে মুক্তি, ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান ওরফে কাঁকন এবং কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি সানিয়াত খান ওরফে বাপ্পা গা ঢাকা দিয়ে আছেন।পুলিশের প্রতিবেদনে বলা হয়, জুব্বার তাঁর জবানবন্দিতে জানিয়েছেন, সাংসদ আমানুরের সঙ্গে কাশিমপুর কারাগারে দেখা করতে গেলে তিনি ছাত্রলীগের নেতা আবু সাঈদকে কিছু করতে না পারার কারণে তাঁদের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেন। পরে আরেক দিন দেখা করতে গেলে তাঁর সহযোগী খোরশেদ আলমকে দিয়ে ‘কাজটা’ (হামলা ও হত্যা) করতে বলেন। এরপর সাংসদ আমানুরের ঘাটাইলের বাড়িতে চার দিন ধরে হত্যার পরিকল্পনা হয়। ওই বৈঠকে জুব্বার ছাড়াও আজিজুল হক, খোরশেদ, পিচ্চি সেলিম উপস্থিত ছিলেন।পুলিশ সদর দপ্তর থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো ‘এক বিশেষ প্রতিবেদনে’ এই জবানবন্দি যুক্ত করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিবের কাছে পাঠানো এই প্রতিবেদনে আবু সাঈদকে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টার পেছনের কারণ তুলে ধরে এ বিষয়ে করণীয় কী জানতে চাওয়া হয়েছে।জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান প্রথম আলোকে বলেন, ‘কারাগারে বসে সাংসদ যদি এমন সন্ত্রাসী কার্যক্রম করেন, তবে অবশ্যই তাঁর বিরুদ্ধে আমরা আরও কঠোর হব। তিনি যতই চেষ্টা করুন না কেন, তাঁকে ছাড় দেওয়া হবে না। আর প্রমাণিত হলে এ ঘটনায় তাঁর বিরুদ্ধে অবশ্যই মামলা হবে।’ঘাটাইল উপজেলা আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ এই হামলার জন্য স্থানীয় সাংসদ আমানুরের অনুসারীদের দায়ী করে। ঘটনার পরপরই তারা টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ সড়কের ঘাটাইল সদর এলাকা এক ঘণ্টা অবরোধ করেছিল।ঘাটাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক শহীদুল ইসলাম গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, ছাত্রলীগের নেতা আবু সাঈদ এলাকায় সাংসদ আমানুরের একচ্ছত্র প্রভাবের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিলেন বলেই তিনি তাঁকে হত্যার চেষ্টা করেন। আবু সাঈদকে সরিয়ে দিতে পারলে এলাকায় তাঁর বিরুদ্ধে কথা বলার আর কেউ থাকবে না।কারাগারে বসে সাংসদ কীভাবে এসব পরিকল্পনা করেছেন, জানতে চাইলে কাশিমপুর-১ কারাগারের জ্যেষ্ঠ কারা তত্ত্বাবধায়ক সুব্রত কুমার বালা প্রথম আলোকে বলেন, ‘সাংসদ প্রথম শ্রেণির মর্যাদাপ্রাপ্ত আসামি। কখন কে আসেন, কার সঙ্গে কী পরিকল্পনা করেন, সেটা শোনার বা জানার আমাদের এখতিয়ার নেই। তবে তাঁর কাছে অনেক লোক আসেন এটা সঠিক। আমরা চেষ্টা করি দৃষ্টির সীমানার মধ্যে রাখতে।’পুলিশের ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বর্তমানে ঘাটাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতারা দুটি দলে বিভক্ত হয়ে পৃথকভাবে দলীয় কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। একটি গ্রুপের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ঘাটাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম লেবু। অপরটির নেতৃত্বে আমানুর রহমান খান।জবানবন্দিতে যা বলা হয়েছেজবানবন্দিতে জুব্বার বলেন, সাংসদের নির্দেশে আবু সাঈদকে হত্যার জন্য কয়েক দফা চেষ্টা চালানো হয়। হামলার আগে রাতে সাংসদ আমানুরের বাসায় খোরশেদ, আতিক, পিচ্চি সেলিম, আজিজুল ও খোরশেদের দুই সহযোগী বৈঠক করে হত্যার পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেন।জবানবন্দিতে জুব্বার বলেন, ‘পরিকল্পনা অনুযায়ী খোরশেদ গরু কাটার পাঁচটি ছুরি নিয়ে মোটরসাইকেলে করে তাঁর একজন সহযোগীসহ আগেই ঘটনাস্থলে চলে যান। অন্যরা রিকশায় ও হেঁটে যান। আমি ও পিচ্চি সেলিম পরিকল্পনা অনুযায়ী ভিন্ন ভিন্ন সময়ে ওয়াজের মাঠে পৌঁছাই। আমাদের দায়িত্ব ছিল রুবেল (আবু সাঈদ) বের হলে তাঁদের জানানো।’সাংসদ আমানুর কারাগারে থাকায় এ ব্যাপারে তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে তাঁর আইনজীবী আবদুল বাকী বলেন, সাংসদ যে মামলার আসামি, তিনি সেই মামলা সম্পর্কে খোঁজ রাখেন। আবু সাঈদ হত্যাচেষ্টা মামলা সম্পর্কে তিনি কিছু জানেন না।
282,838
রায়গঞ্জ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
২৪ ডিসেম্বর ২০১৬, ০২:০১
২৪ ডিসেম্বর ২০১৬, ০২:০১
বিশাল বাংলা,সিরাজগঞ্জ
0
পিঠা খাওয়ার ধুম পড়েছে
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1045511
আমন ধান ঘরে উঠেছে। শীত আসার সঙ্গে সঙ্গে খেজুর গুড়ও এসে গেছে। পিঠা তৈরির এসব উপকরণ হাতে আসায় শীতকালীন পিঠাপুলি খাওয়ার ধুম পড়েছে সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার গ্রামে গ্রামে।গতকাল শুক্রবার উপজেলার ধানগড়া ইউনিয়নের বেতুয়া, বাশুড়িয়া, ক্ষুদ্রসাদরা, লাহোর, নলছিয়াসহ বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা যায়, বেশির ভাগ পরিবারে পিঠা তৈরি হচ্ছে। কেউ পরিবারের সদস্যদের জন্য পিঠা তৈরি করছেন। আবার কেউ কেউ আত্মীয়-স্বজনকে দাওয়াত করে পিঠা দিয়ে আপ্যায়ন করছেন।বেতুয়া গ্রামের শামসুল হক বলেন, প্রতিবছর এই সময়ে গ্রামে ওয়াজ-মাহফিল হয়। এ উপলক্ষে অনেক পরিবারেই আত্মীয়-স্বজন আসেন। এবারও এর ব্যতিক্রম হয়নি। কয়েক দিন ধরে গ্রামে যেন পিঠার উৎসব শুরু হয়েছে।একই গ্রামের কলেজছাত্রী হাবিবা খাতুন বলেন, ‘অন্যান্য গ্রামে পিঠা তৈরি উপলক্ষে বিচ্ছিন্নভাবে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। তবে এই সময়টায় আমাদের গ্রামে একসঙ্গে প্রায় সব বাড়িতে পিঠা বানানো হয়। এ যেন কে কত রকম পিঠা বানাতে পারে তার প্রতিযোগিতা। এ কারণে আনন্দের মাত্রাও বেশি হয়।’পাশের বাশুড়িয়া গ্রামের আলতাব হোসেন বলেন, শীতকালে পিঠার আয়োজন গ্রামীণ জীবনের অন্যতম একটি অনুষঙ্গ। এবারে ধানের দাম ভালো পাওয়ায় কৃষকের হাতে টাকাও আছে। তাই উৎসবের মাত্রা আরও বেড়েছে।বয়সের ভারে ন্যুব্জ ধানগড়া এলাকার নূরভানু বেগম (৮৫)। শীতের পিঠাপুলির স্বাদ তাঁর কাছে অতুলনীয়। তিনি বলেন, ‘ছোট থাকতে দেখেছি শীতকালে প্রতিটি বাড়িতে পিঠা তৈরি হতো। অনেক কিছুর পরিবর্তন হলেও পিঠা খাওয়ার উৎসবে ভাটা পড়েনি। বরং দিনে দিনে হরেক রকম পিঠা তৈরি করা হচ্ছে।’এদিকে স্থানীয় কয়েকটি বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শীতের পিঠার অন্যতম উপকরণ গুড় ঢিমাপ্রতি (প্রায় ৭০০ গ্রাম) ৫০ টাকা, পাটালি গুড় কেজিপ্রতি ৮০ টাকা এবং প্রতি লিটার গরুর দুধ ৪০-৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ধানগড়া বাজারের ব্যবসায়ী নূরুল আমিন বলেন, গত বছরের চেয়ে এ বছর গুড়ের দামও বেশি, বিক্রিও বেশ ভালো। শীত আসার সঙ্গে সঙ্গে বেচা-কেনা বেড়েছে।
276,977
-1
sports
খেলা
১১ সেপ্টেম্বর ২০১৪, ০১:৩৩
১১ সেপ্টেম্বর ২০১৪, ০১:৫৩
খেলা,আন্তর্জাতিক ক্রিকেট
0
খুব রেগেছেন মঈনের বাবা
http://www.prothom-alo.com/sports/article/316420
কেউ বর্ণবাদী আচরণ করলে সেটাও নাকি ইতিবাচকভাবে নিতে হবে! ইংলিশ স্পিনার মঈন আলীকে এমন উদ্ভট পরামর্শ দিয়ে এখন বেশ বিপাকে ইংল্যান্ডের পেশাদার ক্রিকেটার সংস্থার (পিসিএ) প্রধান অ্যাঙ্গাস পর্টার। তবে দুই দিনের মাথায় সুর বদলে এখন বলছেন, তিনি নিজের বক্তব্য ঠিকমতো বোঝাতে পারেননি। তাঁর অবস্থানও বর্ণবাদের বিরুদ্ধে এবং মঈনের সঙ্গে বার্মিংহামের দর্শকেরা যেটা করেছে সেটা অগ্রহণযোগ্য।যে বার্মিংহাম শহরে তাঁর জন্ম, গত রোববার সেখানেই খেলতে নেমেছিলেন মঈন। আর শুধু তিনি কেন, তাঁর বাবারও তো নাড়ি পোঁতা এই শহরে। ঘরের ছেলেকে শহরের দর্শকেরা ভালোবেসে বরণ করে নেবে, এমন প্রত্যাশা থাকাই স্বাভাবিক। কিন্তু হলো উল্টোটা। বার্মিংহামেই ভারত-ইল্যান্ড একমাত্র টি-টোয়েন্টি ম্যাচে দর্শকদের বিদ্রূপাত্মক আচরণের শিকার হয়েছেন পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত ইংলিশ স্পিনার।সেদিনের ঘটনার পর দর্শকদের বিদ্রূপকে ‘ইতিবাচক’ দৃষ্টিতে দেখার কথা বলেছিলেন অ্যাঙ্গাস পর্টার। তবে পরশু এক বিবৃতিতে পিসিএ-প্রধান বলেছেন, ‘মঈনকে উত্ত্যক্ত করাটা বর্ণবাদী আচরণ এবং এটা কিছুতেই গ্রহণযোগ্য নয়। তবে আমি আমার আগের মন্তব্যটা করেছিলাম পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য।’এদিকে মঈনের বাবা মুনির আলী অভিযোগ করেছেন, স্রেফ ধর্মীয় পরিচয়ের কারণেই তাঁর সন্তান এভাবে বিদ্রূপের শিকার, ‘ভেবেছিলাম ওকে উষ্ণ অভ্যর্থনাই দেওয়া হবে। অথচ এর বদলে শুরু থেকে ওকে উত্ত্যক্ত করা হলো। ওকে উত্ত্যক্ত করা হয়েছে—কারণ ও মুসলিম। কারণ ও পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত। এটা লজ্জাজনক।’ইঙ্গিতটা উগ্র ভারতীয় সমর্থকদের দিকে। এমন আচরণ করে তাঁরা নিজেদের দল আর দেশকেও অপমান করেছে বলেই মনে করেন মঈনের বাবা, ‘কয়েক মাস ধরে আমরা সব সম্প্রদায় মিলেমিশে কী দারুণ সময়ই না কাটাচ্ছিলাম। ভারতীয়, ব্রিটিশ, পাকিস্তানি সবাই মিলে। কিন্তু কিছু দর্শক এমন আচরণ করে তাদের দলকেই লজ্জা দিল। যুক্তরাজ্যে এশীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে এমন বর্ণবাদী আচরণের সমস্যা এখনো থেকে গেছে।’এমন আচরণে দুঃখ পেয়েছেন মঈন নিজেও। বিষয়টি নিয়ে এক দর্শক স্বপ্রণোদিত হয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ করলেও কোনো মামলা হয়নি। মঈনের বাবার দাবি, যা হয়ে গেছে সেটা ভুলে যেতে চান তাঁর ছেলে। বিষয়টি নিয়ে বেশি নাড়াচাড়া করতে চান না। শুধু অনুরোধ করেছেন, এর পর থেকে যেন তাঁকে শান্তিতে খেলতে দেওয়া হয়। এএফপি, ক্রিকইনফো।
92,249
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
bangladesh
বাংলাদেশ
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ১৫:৩৯
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ১৬:৫৯
-1
null
চিকুনগুনিয়া ছড়ানোর আগেই ‘ক্রাশ প্রোগ্রাম’ চালু করেছে ডিএসসিসি
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1440626
এবার চিকুনগুনিয়া ও ডেঙ্গু জ্বরের প্রাদুর্ভাবের আগেই মশার উপদ্রব কমাতে দুই সপ্তাহব্যাপী ‘স্পেশাল ক্রাশ প্রোগ্রাম’ কর্মসূচি চালু করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। আজ বুধবার বেলা ১১টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের সামনে এই কর্মসূচি উদ্বোধন করা হয়।এই কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ডিএসসিসির মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বলেন, নগরের মশা নিয়ন্ত্রণে তাঁরা নিয়মিত কার্যক্রম চালাচ্ছেন। তবে কিছুদিন ধরে মশার উপদ্রব বেড়েছে। নাগরিকদের দৈনন্দিন জীবন স্বাচ্ছন্দ্যে রাখতে এই কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। আজ থেকে ডিএসসিসির ৫৭টি ওয়ার্ডে টানা দুই সপ্তাহ ধরে মশার ওষুধ ছিটানো হবে। এতে ২৭৮ জন কর্মী ও ৩১৮টি ফগার মেশিন ব্যবহার করা হবে।ডিএসসিসির মেয়র বলেন, ‘গত বছরের মার্চে ঢাকা শহরে চিকুনগুনিয়ার প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। এই রোগ আমাদের দেশে একেবারেই নতুন। শুরুতে বিষয়টি সম্পর্কে কারও তেমন ধারণাই ছিল না। তাই তা নিয়ন্ত্রণে প্রথম আমাদের অনেকটা সময় লেগেছে। পরবর্তী সময়ে তা ভালোভাবেই মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছি। এবার বর্ষার আগেই আমরা পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়ে মাঠে নেমেছি। পুরো বর্ষা মৌসুম ধরে আমাদের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।’ সাঈদ খোকন বলেন, ‘অন্যান্য সিটি করপোরেশনের তুলনায় ডিএসসিসি এলাকায় মশার উপদ্রব কম। ঘনবসতিপূর্ণ পুরান ঢাকায় আরও কম। তবে কামরাঙ্গীরচর, জুরাইন, যাত্রাবাড়ী, মুগদা, সবুজবাগ, বনশ্রী এলাকায় কিছুটা বেশি। এসব এলাকা ঘিরে ঝোপ বা জঙ্গল বেশি থাকায় মশার উপদ্রব বেশি হয়। এবার ওই এলাকাগুলোর দিকে আমাদের আলাদা নজর থাকবে। তবে জনবল সংকটের কারণে ডিএসসিসিতে নতুন যুক্ত হওয়া ইউনিয়নগুলোতে এই কার্যক্রম চালাতে পারছি না। এসব এলাকা থেকে মশা ডিএসসিসি এলাকায় ঢুকছে। তা নিয়ন্ত্রণে আমরা সচেষ্ট থাকব।’ তিনি বলেন, চিকুনগুনিয়া মশা সাধারণত বাসাবাড়িতে ফুলের টব, টায়ার, ফ্রিজ, এসিতে জমে থাকা পানিতে জন্মায়। তা পরিষ্কারে নগরীর প্রতিটি নাগরিককে সচেতন হতে হবে। নিজ বাড়ির আঙিনাও পরিষ্কার রাখতে হবে। তাহলে মশা জন্মাবে না। ডিএসসিসির মেয়র বলেন, ‘গত বছর চিকুনগুনিয়ায় বহু লোক আক্রান্ত হয়েছিল। তাদের জন্য আমরা হটলাইন নম্বর চালু করেছিলাম। নাগরিকেরা চিকিৎসা চেয়ে ফোন করেছেন। ডিএসসিসির চিকিৎসক তাঁদের বাসাবাড়িতে গিয়ে বিনা মূল্যে চিকিৎসাসেবা, ওষুধ ও ফিজিওথেরাপি দিয়েছেন। এবারও আমাদের সে প্রস্তুতি আছে। তবে আশা করি, এবার চিকুনগুনিয়া নগরীতে ছড়াতে পারবে না।’উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে মশার ওষুধের মান নিয়ে মেয়রকে প্রশ্ন করেন এক সাংবাদিক। জবাবে সাঈদ খোকন বলেন, মশা মারার জন্য যে ওষুধ ব্যবহার করা হয়, তার মান নিয়ন্ত্রণ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এর চেয়ে কম বা বেশি মানের ওষুধ ব্যবহারের সুযোগ নেই। আর যদি বেশি মানের ওষুধ ব্যবহার করা হয়, তাহলে অন্যান্য কীটপতঙ্গের ক্ষতি হবে। এর গন্ধে শিশুদের স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়বে। তাই নগরীতে যাতে মশা জন্মাতে না পারে, সে জন্য সমাজের প্রত্যেককে সচেতন হতে হবে।মশক নিধন কার্যক্রমে ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খান মোহাম্মদ বিলাল, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শেখ সালাহউদ্দীন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।পরে মশা মারার ফগার মেশিন নিজে চালিয়ে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন সাঈদ খোকন।
356,458
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
bangladesh
বাংলাদেশ
১১ ডিসেম্বর ২০১৫, ০১:০৭
১১ ডিসেম্বর ২০১৫, ০১:০৮
রাজশাহী,রাজশাহী বিভাগ,বিশাল বাংলা,পৌরসভা নির্বাচন
0
আ.লীগ প্রার্থীর পক্ষে নেই নেতারা, কার্যালয়ে তালা
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/708973
রাজশাহীর পুঠিয়া পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর পক্ষে দলের নেতারা নেই। তাঁরা দলীয় কার্যালয়ে তালা লাগিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষ নিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে দলীয় প্রার্থী রবিউল ইসলাম বলেন, ‘নেতারা ফোনে কথা বলছেন, কিন্তু ফেইসে আসছেন না।’২০০১ সালে পৌরসভা গঠিত হওয়ার পরে এই প্রথম পুঠিয়া পৌরসভায় নির্বাচন হচ্ছে। নির্বাচনে মেয়র পদে ছয়জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রবিউল ইসলাম। বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জি এম হীরা (বাচ্চু)। বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুল হক। বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক সংস্থার পুঠিয়া উপজেলার সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাসিবুল ইসলাম। জাতীয় পার্টি থেকে প্রার্থী হয়েছেন সংগঠনের থানা সভাপতি এনামুল হক এবং ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের প্রার্থী হয়েছেন রুহুল আমিন।উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হচ্ছেন পুঠিয়া-দুর্গাপুর আসনের সাংসদ কাজী আব্দুল ওয়াদুদ। আওয়ামী লীগ নেতাদের অভিযোগ, সাংসদ তাঁর একক সিদ্ধান্তে রবিউলকে প্রার্থী করেছেন। রবিউল ইসলাম তাঁর হলফনামায় সর্বোচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতার ঘরে এসএসসি (অকৃতকার্য) বলে উল্লেখ করেছেন। ২ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের নেতারা দলীয় কার্যালয়ে বৈঠক করে এই প্রার্থীকে বর্জনের ঘোষণা দেন। এ সময় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দলীয় কার্যালয়ে তালা লাগিয়ে দেন। তিনি বলেন, পৌরসভা নির্বাচনের পর ৩১ ডিসেম্বর এই তালা খোলা হবে। তার আগে যদি খোলা হয়, তাহলে এই কার্যালয় থেকে জি এম হীরার প্রচার-প্রচারণা চালানো হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার এই কার্যালয়ে গিয়ে তালাবদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। কার্যালয়জুড়ে আব্দুল মালেকের পোস্টার সাঁটানো।দুপুরে পুঠিয়া পৌর এলাকার কাউন্সিলের মোড়ে গিয়ে জি এম হীরাকে পাওয়া যায়। তিনি একটি দোকানের সামনে ১০-১৫ জন নেতা-কর্মী নিয়ে কথা বলছিলেন। তিনি বলেন, রবিউল ইসলাম সাংসদের একজন আদায়কারী। তিনি সাংসদের সঙ্গে থেকে যেসব মানুষের কাজ করেছেন, তার ৯০ ভাগ বিএনপি-জামায়াতের। এখন তাঁদের সঙ্গে নিয়েই তাঁকে কাজ করতে হচ্ছে। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা সবাই বিভেদ ভুলে তাঁর (জি এম হীরা) সঙ্গে কাজ করছেন। পুঠিয়া পৌর আওয়ামী লীগ কার পক্ষে জানতে চাইলে তিনি সংগঠনের সভাপতিকে ফোন করতে বলেন। ফোনে যোগাযোগ করা হলে পুঠিয়া পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু বকর সিদ্দিক বলেন, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে পৌর আওয়ামী লীগের সব কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তাঁরা কেউ দলের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন না। তাঁদের মতামত নিয়ে প্রার্থী দেওয়া হয়নি। এখন তাঁরা জি এম হিরার পক্ষে মাঠে নেমেছেন।রবিউল ইসলামকে ফোন করলে তিনি তাঁর ব্যক্তিগত কার্যালয়ে দেখা করতে বলেন। সেখানে গিয়ে দেখা যায়, কাচের দরজার সামনে চেয়ার পেতে এক ব্যক্তি বসে আসেন। তিনি ভেতরের অনুমতি নিয়ে প্রবেশ করতে দিলেন। এ সময় ওই কার্যালয়ে রবিউল ইসলাম ও আব্দুস সাত্তার নামের এক ব্যক্তি বসা ছিলেন। সাত্তার সাংসদ আব্দুল ওয়াদুদের ব্যবসা দেখাশোনা করেন।নেতাদের অভিযোগ প্রসঙ্গে রবিউল ইসলাম বলেন, নেতারা সবাই ফোনে তাঁর সঙ্গে কথা বলছেন, কিন্তু ‘ফেইসে’ আসছেন না। তবে সাধারণ ভোটাররা তাঁর পক্ষে রয়েছেন। পৌর আওয়ামী লীগের কোন নেতা তাঁর সঙ্গে আছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, গত বুধবার পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহরিয়ার রহিম তাঁর সঙ্গে কোলাকুলি করেছেন। এ ছাড়া পৌরসভার সব ওয়ার্ডের নেতারা তাঁর সঙ্গে রয়েছেন। দলীয় কার্যালয়ে তালার ব্যাপারে তিনি বলেন, কোনো কর্মসূচি থাকলেই কার্যালয় খোলা হয়। তা ছাড়া তাঁর ব্যক্তিগত কার্যালয়েই সবাই বসেন। তিনি বলেন, ১৩ ডিসেম্বরের পরে সব ঠিক হয়ে যাবে।শাহরিয়ার রহিমকে ফোন করলে তিনি বলেন, তাঁর বাসায় বিএনপির প্রার্থী এলেও তাঁকে কোলাকুলি করতে হবে। এটা তো কোনো কথা নয়।সাংসদ আব্দুল ওয়াদুদের ফোনে যোগাযোগ করা হলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। পুঠিয়ার নেতারা জানান, তিনি দেশের বাইরে আছেন।
182,469
নিজস্ব প্রতিবেদক
bangladesh
বাংলাদেশ
০৮ জুন ২০১৭, ১৫:২৭
০৮ জুন ২০১৭, ১৫:৩৬
আইন ও বিচার
null
উচ্ছেদের বৈধতা নিয়ে মওদুদের রিট মুলতবি
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1209911
গুলশানের বাড়ি থেকে বিএনপির নেতা মওদুদ আহমদকে উচ্ছেদের বৈধতা নিয়ে করা রিট শুনানি নিয়ে আগামী ২ জুলাই পর্যন্ত মুলতবি করেছেন হাইকোর্ট।বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি মো. আতাউর রহমান খানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এ আজ বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন।গুলশানের যে বাড়িটিতে মওদুদ থাকতেন, সেখান থেকে তাঁকে উচ্ছেদে বা দখল বুঝে নিতে নোটিশ না দেওয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আজ তিনি নিজেই রিটটি করেন।তখন সংশ্লিষ্ট আইনজীবী এ কে এম এহসানুর রহমান প্রথম আলোকে বলেছিলেন, নোটিশ ছাড়া দখল বুঝে নেওয়ার কার্যক্রম কেন অবৈধ হবে না—এ মর্মে রুল চাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি উচ্ছেদ কার্যক্রম স্থগিত ও বাড়ির নকশায় ও ধরনে পরিবর্তন না আনার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। বাড়ির দখল ফিরে পেতে আরজি জানানো হয়েছে।আইনি লড়াইয়ে হেরে যাওয়ার পর দীর্ঘদিন ধরে ভোগ করা গুলশান ২ নম্বরের ১৫৯ নম্বর বাড়িটি গতকাল বুধবার ছাড়তে হয়েছে মওদুদ আহমদকে। গতকাল দুপুরে রাজউক বাড়িটি নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার কার্যক্রম শুরু করে। বাড়ি থেকে মালামাল সরানোর কাজ চলার মধ্যেই সন্ধ্যা ছয়টার দিকে একটি প্রাইভেট কারে করে মওদুদ আহমদ সেখান থেকে চলে যান। দিবাগত রাত দুইটার দিকে মালামাল সরিয়ে বাড়িটি তালাবদ্ধ করে দেয় রাজউক কর্তৃপক্ষ। ট্রাকে করে বাড়ির মালামাল গুলশান-২-এর ৫১ নম্বর সড়কের ২ নম্বর বাড়ির ছয়তলা ভবনে মওদুদ আহমদের নিজস্ব একটি ফ্ল্যাটে নিয়ে যাওয়া হয়। আরও  পড়ুন...মওদুদকে উচ্ছেদের পর বাড়ি তালাবদ্ধ
322,221
বিনোদন ডেস্ক
entertainment
বিনোদন
১৯ জানুয়ারি ২০১৫, ০১:০১
১৯ জানুয়ারি ২০১৫, ০১:০২
বলিউড,বিনোদন
0
গুপ্তচর নার্গিস!
http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/427834
কোন সে বলিউড তারকা হলিউডে পা রাখার স্বপ্ন না দেখেন? সবার মতো অভিনেত্রী নার্গিস ফাখরির স্বপ্নও একই রকম। বরং তিনি তো এক ধাপ এগিয়ে। তাঁর শুরুটাই হয়েছিল পশ্চিমের একটি মডেলিং রিয়েলিটি শো দিয়ে। এখন তাঁর হলিউডে অভিষেকের স্বপ্নও পূরণ হতে যাচ্ছে। আসছে মে মাসে নার্গিস অভিনীত প্রথম হলিউড ছবি স্পাই মুক্তি পাবে। ছবিতে নার্গিসকে দেখা যাবে হলিউড তারকা জ্যাসন স্টেথাম, জুড ল ও ম্যালিসা ম্যাকার্থির সঙ্গে পর্দা ভাগাভাগি করতে।সম্প্রতি বেরিয়েছে এ ছবির ট্রেলার। সেখানে নার্গিসকে দেখা গেছে মারদাঙ্গা চরিত্রে। তিনি মারামারি করছেন ম্যালিসার সঙ্গে। ছবিতে নার্গিস একজন গুপ্তচরের ভূমিকায় অভিনয় করছেন। আর দ্য হিটখ্যাত ম্যালিসাকে দেখা যাবে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর গবেষকের ভূমিকায়। ইন্ডিয়া টুডে
108,082
মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪, ০১:৪১
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪, ০১:৪৩
মুন্সিগঞ্জ,ঢাকা বিভাগ,বিশাল বাংলা
0
নতুন প্রজন্মকে হতে হবে ‘অগ্রবাহিনী শক্তি’
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/148417
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, ‘আমাদেরকে এগিয়ে যেতে হলে নতুন প্রজন্মকে নিয়ে “অগ্রবাহিনী শক্তি” গঠন করতে হবে। এই শক্তি আমাদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে নিয়ে যাবে।’গতকাল শনিবার মুন্সিগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয় প্রাঙ্গণে ‘জেলা প্রশাসক সমঞ্চাননা পুরস্কার ২০১৪’ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় শিক্ষামন্ত্রী প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমাদেরকে অনেক দূর এগিয়ে যেতে হবে। নতুন প্রজন্মকে শিক্ষিত করে তুলতে হবে। প্রচলিত ও গতানুগতিক শিক্ষা পরিহার করে আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে। দুনিয়ার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে না পারলে আমাদের পিছিয়ে যেতে হবে। আমাদের উন্নত বাংলাদেশ গঠন করতে হবে। দুনিয়ার বুকে উন্নত জাতি, মর্যাদাশীল জাতি হিসেবে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে হবে।’অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল হাসান। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সাংসদ সাগুফতা ইয়াসমিন ও মৃণাল কান্তি দাস, জনপ্রশাসনসচিব কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, সমাজকল্যাণসচিব নাসিমা আক্তার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও তথ্যপ্রযুক্তি) সাগরিকা নাসরিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাকির হোসেন মজুমদার প্রমুখ। জেলার বিভিন্ন উপজেলার প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও কলেজ পর্যায়ের শিক্ষক, জনপ্রতিনিধি ও মুক্তিযোদ্ধারা অনুষ্ঠানে অংশ নেন।জেলা প্রশাসক শিক্ষা ফাউন্ডেশন আয়োজিত গতকালের অনুষ্ঠানে রত্নগর্ভা ‘মা’, জেলার বিভিন্ন উপজেলার সেরা প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও কলেজ পর্যায়ে শিক্ষক, সেরা ইউনিয়ন ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, সেরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), সেরা উপজেলা প্রাথমিক ও মাধ্যমিক কর্মকর্তাসহ মোট ১৪টি শ্রেণীতে সমঞ্চাননা দেওয়া হয়।
51,678
নিজস্ব প্রতিবেদক
bangladesh
বাংলাদেশ
১১ জুলাই ২০১৪, ১৮:৩৩
১১ জুলাই ২০১৪, ১৮:৩৭
-1
null
ঈদে সওজ ও রেলের কর্মকর্তাদের ছুটি বাতিলের সিদ্ধান্ত
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/264841
ঈদ উপলক্ষে জনসাধারণের বাড়ি ফেরা নিরবচ্ছিন্ন করতে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের (সওজ) এবং রেলের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ছুটি বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে এক আন্তমন্ত্রণালয় সভায় যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক নিজ নিজ মন্ত্রণালয়ের পক্ষে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।বৈঠকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে ঈদের আগেই ঢাকার বিভিন্ন সড়কের দুরবস্থা তুলে ধরে তা মেরামতের ব্যাপারে প্রস্তাব দেওয়া হয়। জবাবে ঢাকা সিটি করপোরেশন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় এবং ওয়াসাকে ২০ তারিখের মধ্যে তাদের আওতাধীন সড়ক মেরামত করে যান চলাচলের উপযোগী রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ঢাকার বর্জ্য ব্যবস্থাপনা আরও উন্নত করতে ঢাকা সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়।বৈঠকে ঢাকার আশপাশের বিভিন্ন জেলার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, মালিক-শ্রমিক প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। সবার বক্তব্যেই ঢাকা এবং ঢাকার বাইরের মহাসড়কগুলোর দুরবস্থার কথা উঠে আসে।জবাবে প্রধান অতিথি ওবায়দুল কাদের বলেন, তিনি আগামীকাল শনিবার সকালে চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওয়ানা দেবেন, সমস্যা দেখবেন। যেখানে সমস্যা পাবেন, সেখানেই তাত্ক্ষণিক সমস্যা সমাধানের সিদ্ধান্ত জানাবেন। একই দিন যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সচিবের নেতৃত্বে আরেকটি দল ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়ক পরিদর্শনে যাবে। চন্দ্রা-নবীনগর হয়ে টাঙ্গাইল মহাসড়ক পরিদর্শনে যাবেন যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিব। এই দলগুলোর সঙ্গে সড়ক পরিবহন সমিতির নেতা-কর্মীদের যাওয়ারও আহ্বান জানান যোগাযোগমন্ত্রী।সভায় ঈদের আগের তিন দিন ও পরের দুই দিন মালামালবাহী ভারী ট্রাক, কাভার্ডভ্যান চলাচল করতে পারবে না বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে গার্মেন্টস পণ্য, পচনশীল দ্রব্য পরিবহনের জন্য ব্যবহূত ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান এই সিদ্ধান্তের আওতার বাইরে থাকবে।সভায় নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান, স্থানীয় সরকার ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) হাসান মাহমুদ খন্দকার, বিশিষ্ট কলাম লেখক সৈয়দ আবুল মকসুদ, চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন, বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অধ্যাপক শামসুল হকসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিব, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
76,689
-1
international
আন্তর্জাতিক
২৫ নভেম্বর ২০১৩, ০০:০২
২৫ নভেম্বর ২০১৩, ০০:০২
ইউরোপ
0
স্বাধীনতার ভোট
http://www.prothom-alo.com/international/article/81781
স্কটল্যান্ড ২০১৬ সালের ২৪ মার্চ যুক্তরাজ্য থেকে স্বাধীন হতে পারে। ওই দিন দেশে গণভোটের আয়োজন করা হবে। দেশের মানুষ স্বাধীনতার পক্ষেই ভোট দেবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন স্কটল্যান্ডের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী ও স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টির (এসএনপি) রাজনীতিবিদ নিকোলা স্টারজিওন। গণভোট উপলক্ষে স্কটল্যান্ডের সরকার একটি স্বাধীনতার ‘নীলনকশা’ নামে একটি শ্বেতপত্রে প্রকাশ করেছে। ৬৭০ পৃষ্ঠার শ্বেতপত্রটি ছাপানো বই ও ইন্টারনেটে কাল মঙ্গলবার থেকে পাওয়া যাবে। স্টারজিওন বলেন, শ্বেতপত্রে স্কটল্যান্ডের অর্থনৈতিক অবস্থার বিবরণ দিয়ে স্বাধীনতার পক্ষে যুক্তি তুলে ধরা হয়েছে। এর মাধ্যমে দেশের মানুষকে স্বাধীনতার পক্ষে ভোট দিতে প্রভাবিত করা হবে। বিবিসি
30,781
ময়মনসিংহ অফিস
bangladesh
বাংলাদেশ
২৬ জানুয়ারি ২০১৭, ০০:৫৬
২৬ জানুয়ারি ২০১৭, ০০:৫৯
ময়মনসিংহ,ঢাকা বিভাগ,বিশাল বাংলা
0
ফুলবাড়িয়ায় আজ অর্ধদিবস হরতাল
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1067117
ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া কলেজ জাতীয়করণের দাবিতে চলমান আন্দোলনের কর্মসূচি হিসেবে আজ বৃহস্পতিবার উপজেলায় অর্ধদিবস হরতাল ডেকেছে জাতীয়করণ দাবি আদায় কমিটি। কমিটি হরতালের সমর্থনে গতকাল বুধবার উপজেলা সদরে মিছিল করে।মিছিল শেষে জাতীয়করণ দাবি আদায় কমিটি জানায়, ১ জানুয়ারি থেকে জাতীয়করণের দাবিতে দ্বিতীয় দফায় শান্তিপূর্ণ আন্দোলন শুরু হয়েছে। এর ধারাবাহিকতায় আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত হরতাল আহ্বান করা হয়েছে।এদিকে স্থানীয় কয়েকজন বলেন, গত সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি ফুলবাড়িয়া কলেজ জাতীয়করণের দাবিতে আন্দোলন শুরু হয়। ২৭ নভেম্বর আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। এদিন পুলিশের মারধরে আহত হয়ে কলেজটির শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ ও পথচারী সফর আলীর মৃত্যু হয়। আজ আবারও হরতাল দেওয়ায় ওই সংঘর্ষের কথা ভেবে মানুষের মধ্যে উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে।ফুলবাড়িয়া থানার ওসি রিফাত খান রাজিব বলেন, শান্তিপূর্ণ আন্দোলন হলে পুলিশ বাধা দেবে না। তবে আন্দোলনের নামে সহিংসতা করা হলে পুলিশ ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবে।
287,202
চাকরিবাকরি প্রতিবেদক
life-style
জীবনযাপন
০৮ জানুয়ারি ২০১৬, ০১:২৬
০৮ জানুয়ারি ২০১৬, ০১:২৮
পেশা,চাকরিবাকরি
0
সরকারি কর্মকমিশনে ৩৩০ চাকরি
http://www.prothom-alo.com/life-style/article/734314
বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশনের অধীন বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে ৩০টি পদে মোট ৩৩০ জনকে স্থায়ী ও অস্থায়ীভাবে নিয়োগ দেওয়ার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।সিস্টেম এনালিস্ট ও মেইনটেন্যান্স ইঞ্জিনিয়ার:শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় ও বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ে সিস্টেম এনালিস্ট পদে ১টি করে এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় ও বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের ১টি করে মেইনটেন্যান্স ইঞ্জিনিয়ার পদে নিয়োগ দেওয়া হবে।প্রোগ্রামার:বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীন এনজিও-বিষয়ক ব্যুরো, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন যৌথ মূলধন কোম্পানি ও ফার্মগুলোর পরিদপ্তরের জন্য প্রোগ্রামার পদে একজন করে নিয়োগ দেওয়া হবে।সহকারী প্রোগ্রামার:নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের ৪টি, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ১টি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে ১টি, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে ১টি, অর্থ মন্ত্রণালয়ের ২০টি, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের ১টি, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের ১টি, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ২টি, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের ১টি, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ১টি, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীন এনজিও-বিষয়ক ব্যুরোতে ১টি ও সংস্কৃতি-বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ১টিসহ মোট ৩৫টি পদে সহকারী প্রোগ্রামার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হবে।আইন কর্মকর্তা, ফিজিক্যাল ইনস্ট্রাক্টর, ফোরম্যান এবং ব্যক্তিগত ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা:স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের আইন কর্মকর্তা হিসেবে ১ জন, ফিজিক্যাল ইনস্ট্রাক্টর পদে ২ জন ও ফোরম্যান হিসেবে ২ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। এ ছাড়া বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের বা বিভাগের ব্যক্তিগত ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা পদে যথাক্রমে ১৪ ও ৭ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে।সহকারী প্রকৌশলী, সহকারী পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ও হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা:স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ৭টি পদে সহকারী প্রকৌশলী (পুর), ৩৪টি পদে সহকারী পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ও ১টি পদে হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হবে।উপসহকারী প্রকৌশলী, এস্টিমেটর, নকশাকার: স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলী (তড়িৎ) পদে ৬ জন, এস্টিমেটর পদে ১১ জন, নকশাকার (ড্রাফটম্যান) পদে ৫ জন, উপসহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) পদে ৩২ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে।স্টোর অফিসার, সহকারী পরিচালক ও কো-অর্ডিনেটর:জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অধীন সরকারি অধিদপ্তরের স্টোর অফিসার পদে ১ জন, নৌ মন্ত্রণালয়ের অধীন সমুদ্র পরিবহন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ও কো-অর্ডিনেটর পদে ১ জন করে নিয়োগ দেওয়া হবে।ডেটা এন্ট্রি সুপারভাইজার, টেকনিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট, প্রশাসনিক কর্মকর্তা:বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অধীন পাট অধিদপ্তরের ডেটা এন্ট্রি সুপারভাইজার পদে ১ জন ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা পদে ১ জন এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের টেকনিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট পদে ১ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে।পিটিআই ইনস্ট্রাক্টর ও জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর:প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মাঠপর্যায়ের পিটিআই ইনস্ট্রাক্টর পদে ৯৯ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। এ ছাড়া শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর (টেক/সিভিল) পদে ২০ জন, জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর (টেক/সিভিল-উড) পদে ২ জন, জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর (টেক/ইলেকট্রিক্যাল) পদে ৫ জন, জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর (টেক/মেকানিক্যাল) পদে ২৭ জন, জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর (টেক/কেমিক্যাল) পদে ২ জন ও জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর (টেক/সার্ভে) পদে ২ জনসহ মোট ৫৮ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে।আবেদন প্রক্রিয়া:আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনের মাধ্যমে আবেদনপত্র (বিপিএসসি ফরম-৫) ও পরীক্ষার ফি জমা দিতে পারবেন ১৮ জানুয়ারি ২০১৬ তারিখ পর্যন্ত। আবেদনকারীদের ফরম জমাদানের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে পরীক্ষার ফি জমা দিতে হবে। আবেদন প্রক্রিয়া, আবেদন ফরম ও অন্যান্য তথ্য বিস্তারিত জানা যাবে বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশনের ওয়েবসাইটের (www.bpsc.gov.bd) মাধ্যমে।
190,497
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
২৪ আগস্ট ২০১৩, ০৪:২৯
২৪ আগস্ট ২০১৩, ০৪:৩১
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়,রাজশাহী,অপরাধ
null
আহত ছাত্রলীগ নেতা পঙ্গু হাসপাতালে, আটক ১৩
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/41667
বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে দুর্বৃত্তদের হামলায় আহত ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক এস এম তৌহিদ আল হোসেন ওরফে তুহিনকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকালে অস্ত্রোপচার শেষে তাঁকে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিউ) রাখা হয়েছে।ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের অভিযোগ, ছাত্রশিবিরের ক্যাডাররাই গত বৃহস্পতিবার রাতে তুহিনের ওপর হামলা চালিয়েছে। তবে ছাত্রশিবির এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ১৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ।পঙ্গু হাসপাতাল থেকে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সহসম্পাদক ওয়ালিদ আহমেদ মুঠোফোনে জানান, তুহিনকে গতকাল ভোরে পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সকাল সাড়ে আটটার দিকে তাঁর শরীরে অস্ত্রোপচার করা হয়।প্রত্যক্ষদর্শী ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা জানান, বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে তুহিনসহ ছাত্রলীগের চার-পাঁচজন নেতা-কর্মী মাদার বখ্শ হলের দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় মোটরসাইকেলে করে এসে ১০-১২ জন দুর্বৃত্ত আমীর আলী হলের প্রাধ্যক্ষের বাসভবনের সামনে তাঁদের ওপর হামলা চালায়। তারা তুহিনের হাত ও পায়ের রগ কেটে ফেলে রেখে যায়। এ সময় তাদের গুলিতে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সমাজসেবা সম্পাদক শাওন সরকার গুলিবিদ্ধ হন। শাওন অস্ত্রোপচার শেষে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। হামলার ঘটনার পর থেকে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতেই ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। এ ছাড়া নগরের সোনাদীঘি মোড়ে বিক্ষোভ করে ইসলামী ব্যাংকের বুথে আগুন দেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।নগরের মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আবদুস সোবহান জানান, বৃহস্পতিবার রাতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী এলাকায় অভিযান চালিয়ে হামলার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ১৩ জনকে আটক করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ১০ জনই ভর্তি পরীক্ষার্থী। তাঁদের থানা হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। এ ঘটনায় গতকাল বিকেল পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি।ছাত্রশিবিরের অস্বীকার: ছাত্রলীগের নেতা তুহিনের ওপর হামলার ঘটনায় ছাত্রশিবিরের সম্পৃক্ততার অভিযোগ অস্বীকার করেছে সংগঠনটি। গতকাল বিকেলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের ভারপ্রাপ্ত প্রচার সম্পাদক জিয়াউদ্দিন বাবলু স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘তুহিনের গুরুতর আহত হওয়ার ঘটনায় ছাত্রশিবিরকে জড়িয়ে যে সংবাদ প্রচার করা হয়েছে, তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় শিবিরের সভাপতি আশরাফুল আলম ও সেক্রেটারি সাইফুদ্দীন ইয়াহ্ইয়া।’
11,408
বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
১৭ মার্চ ২০১৭, ০০:৩৫
১৭ মার্চ ২০১৭, ০০:৩৫
বাউফল,পটুয়াখালী,বিশাল বাংলা,অপরাধ
0
বাউফলে তরুণী নির্যাতনের ঘটনায় মামলা, গ্রেপ্তার ২
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1110361
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার আদাবাড়িয়া ইউনিয়নের কাশিপুর বাজারের পূর্ব পাশ এলাকায় ফাহিমা আখতার হ্যাপি (২০) নামে এক তরুণীকে গত মঙ্গলবার রাতে হাত-পা বেঁধে নির্যাতনের ঘটনায় মো. লিটন আকন (৩৫) ও আবদুল হক শিকদার (৬৫) নামে দুই ব্যক্তিকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) টিপু লাল বলেন, ওই তরুণীকে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে তাঁর মা হালিমা খাতুন (৫০) ও বড় ভাই রমজান মিয়ার (৩০) কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।গ্রেপ্তার হওয়া লিটন হলেন ওই তরুণীর স্বামীর ভগ্নিপতি ও আবদুল হক তাঁর শ্বশুর।তরুণীর সঙ্গে কথা বলে ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ময়মনসিংহের কোতোয়ালি থানার কালীবাড়ি সড়ক এলাকার বাসিন্দা মো. জামাল উদ্দিনের মেয়ে ফাহিমা। ঢাকার গাজীপুরের এএসআর সোয়েটার কারখানার ফিনিশিং অপারেটরের কাজ করেন। সেই সুবাদে ওই কারখানায় কর্মরত পটুয়াখালী সদর উপজেলার কমলাপুর ইউনিয়নের ভায়লা গ্রামের মো. আল আমিন শিকদারের (২২) সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক হয়। চলতি মাসের ২ তারিখ তাঁরা বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হন। বিয়ের এক দিন পর সোয়েটার কারখানায় কাজ না করার সিদ্ধান্ত নিয়ে ব্যবসা করার জন্য তাঁর (ফাহিমা) কাছে ১ লাখ টাকা দাবি করেন আল আমিন। তাঁর কাছে ৫০ হাজার টাকা ছিল। ওই টাকা ৫ মার্চ তিনি আল আমিনকে দেন। ওই দিনই টাকা নিয়ে বাসা থেকে বের হয়ে আর ফেরেননি তিনি। তাঁর মুঠোফোন নম্বরটিও বন্ধ পাওয়া যায়। নিরুপায় হয়ে তিনি গত সোমবার বিকেলে ঢাকা থেকে লঞ্চযোগে রওনা হয়ে মঙ্গলবার সকালে পটুয়াখালী আসেন। পরে আল আমিন ও লিটন গিয়ে তাঁকে (ফাহিমা) নিয়ে ওই দিন রাতে পটুয়াখালী থেকে রওনা হয়ে বাউফলের কাশিপুর বাজারের পূর্ব পাশে লিটনের ভাড়া বাসায় রাত ১০টার দিকে পৌঁছান।পরে রাতেই ওই তরুণীর কাছ থেকে জোরপূর্বক তালাক নেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করা হয় এবং মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়। এতে রাজি না হওয়ায় তাঁকে হাত-পা বেঁধে ও মুখের মধ্যে চামচ ঢুকিয়ে মারধর করা হয়। ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে তাঁর সঙ্গে থাকা ১০ হাজার টাকা ও একটি মুঠোফোন। বুধবার সকালে স্থানীয় লোকজন ওই তরুণীকে উদ্ধার ও ঘটনার সঙ্গে জড়িত একজনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন।এ ঘটনায় গতকাল তরুণীর স্বামী আল আমিনসহ চারজনের নাম উল্লেখ করে বাউফল থানায় মামলা করেন ফাহিমা।গতকাল প্রথম আলোয় ‘স্বামীর খোঁজে এসে তরুণী নির্যাতনের শিকার, আটক ১’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
303,682
মাদারীপুর প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
২২ জুলাই ২০১৭, ২২:২৪
২২ জুলাই ২০১৭, ২২:২৬
-1
null
রাস্তায় ধানের চারা লাগিয়ে ক্ষোভ!
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1261346
মাদারীপুরে একটি সড়কে ধানের চারা রোপণ করে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। আজ শনিবার সকালে সদর উপজেলার মস্তফাপুর বাজারের প্রধান সড়কের সামনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেন, বৃষ্টি হলেই এই সড়কে পানি ও কাদা জমে যায়। সড়কের দুই পাশে পানিনিষ্কাশনে নর্দমা নেই। এতে পানি জমে থাকায় সড়কজুড়ে খানাখন্দ আর গর্তের সৃষ্টি হয়। সড়কটি ঘিরে প্রায় ৫০০ দোকান রয়েছে।ব্যবসায়ীদের দাবি, ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, জেলা পরিষদের জনপ্রতিনিধিদের কাছে একাধিকবার আবেদন করার পরও বাজারের পানিনিষ্কাশন ও সড়কটি সংস্কারের কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।সরোয়ার হোসেন নামের এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘আমরা একাধিকবার এই ওয়ার্ডের জনপ্রতিনিধিকে বলেছি। তাঁরা আশ্বাস ছাড়া আর কিছুই দেননি। পানি ও কাদা জমে থাকায় আমাদের কষ্ট দিন দিন বেড়েই চলেছে।’রফিক ইসলাম নামের আরেক ব্যবসায়ী বলেন, বাজারে কাদা-পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় ব্যতিক্রমী প্রতিবাদ জানানো হলো।মস্তফাপুর ইউনিয়নের বাজার এলাকায় ৪ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য মঞ্জুর হোসেন বলেন, ‘আমরা একাধিকবার চেয়ারম্যানকে বলেছি। আমরা স্থানীয় সরকারের কাছে আবেদন করেছি। বর্ষার মৌসুম শেষ হলেই ড্রেন ও রাস্তাটি সংস্কারের কাজ শুরু করা হবে।’
327,807
বাসস, ঢাকা
bangladesh
বাংলাদেশ
০৬ মার্চ ২০১৮, ২০:১৬
০৬ মার্চ ২০১৮, ২০:৫০
সরকার,প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
null
পাট দিবসে পাটের শাড়িতে প্রধানমন্ত্রী
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1444841
পাট দিবসে পাটের তৈরি শাড়ি পরে অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুধু তা–ই নয়, পায়ের জুতা ও ভ্যানিটি ব্যাগও ছিল পাঠের তৈরি। শেখ হাসিনা আজ সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় পাট দিবস-২০১৮ উপলক্ষে তিন দিনব্যাপী পাটপণ্য মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আসেন তিনি। সেখানে তিনি একটি অনুষ্ঠানে ভাষণও দেন।বক্তব্যের একপর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পাট নিয়ে গবেষণার ফলে অনেক নতুন নতুন আকর্ষণীয় পণ্য উৎপাদিত হচ্ছে। এ অনুষ্ঠানে তিনি যে শাড়িটা পরে এসেছেন, সেটা পাটের উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী জানান, তাঁর পায়ের জুতাটাও পাটের তৈরি। নিজের ভ্যানিটি ব্যাগটিও সবার সামনে প্রদর্শন করে বলেন, এটাও পাটের তৈরি। তিনি বলেন, পাট এমন একটি পণ্য যে বিশ্বের দামি মার্সিডিজ গাড়ি তৈরি করতেও পাট করা ব্যবহার হয়।শেখ হাসিনা বলেন, পাকিস্তানিরা এ দেশের পাট বিক্রি করে নিজেদের ভাগ্যের উন্নয়ন করত। তারা পাটকে ধ্বংস করার জন্য কৃষকদের বঞ্চিত করত। তাদেরই প্রেতাত্মারা যারা বাংলাদেশে আছে, তারাও ক্ষমতায় গিয়ে রাজাকারদের শিল্পমন্ত্রী-কৃষিমন্ত্রী বানিয়ে আরেক দফা এই পাটকে ধ্বংস করেছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘৯১ সালের নির্বাচনে তখন কোনো দলই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। কিন্তু বিএনপি জামায়াতের হাত ধরে সরকার গঠন করে ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের সঙ্গে একটি চুক্তি করল যে গোল্ডেন হ্যান্ডশেকের মাধ্যমে সব শ্রমিককে চাকরি থেকে বিদায় দিয়ে দেবে। আর ’৯৩ সাল থেকে পাটকলগুলো একে একে বন্ধ করবে। ফলাফলটা ছিল, তখন বাংলাদেশ থেকে বিশ্বে যে আড়াই লাখ বেল পাট রপ্তানি হতো তা বন্ধ হয়ে যাবে। আর ঠিক একই ভারতের সঙ্গে ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের চুক্তি হলো। চুক্তি অনুযায়ী ভারত তাদের সীমান্তে পাটকল তৈরি করবে আর ওই আড়াই লাখ বেল পাট রপ্তানি করার সুযোগ পাবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের পাটকল বন্ধ করার জন্য টাকা নিল বিএনপি সরকার আর ভারতকে পাটকল করার সুযোগ করে দিল ওয়ার্ল্ড ব্যাংক।অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুরো পাট খাতের যান্ত্রিকীকরণের ওপর গুরুত্বারোপ করে দেশের সরকারি খাতের পাটকলগুলোকে লাভজনক করে তুলতে আন্তরিকভাবে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একটি বড় সমস্যা রয়েছে যন্ত্রপাতিগুলো অত্যন্ত পুরোনো, কাজেই এই মেশিনারিজগুলো সব বদলাতে হবে। নতুন মেশিনারিজের ব্যবস্থা করতে হবে। যদিও এ ব্যাপারে আমরা সব রকম চেষ্টা করছি।’প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা পাটকে আরও আধুনিকীকরণের মাধ্যমে পাট উৎপাদন, পাট সংগ্রহ, পাট সংরক্ষণের ব্যবস্থা করেছি।’
357,063
-1
life-style
জীবনযাপন
০৬ মে ২০১৫, ০০:০২
০৬ মে ২০১৫, ০০:০২
অধুনা,জেনে নিন
null
আঙুরের আকর্ষণ
http://www.prothom-alo.com/life-style/article/520057
কয়েক দিন ধরে বাতাসের আর্দ্রতা দ্রুত বাড়ছে-কমছে। এই আবহাওয়ার ফাঁদে পড়ে লেগে যায় ঠান্ডা-কাশি। বিরক্তিকর এই ঝামেলা এড়াতে খেতে পারেন আঙুর। রোগ সারাবে, গরমে তৃষ্ণাও মেটাবে। আঙুর সেই প্রাচীন কাল থেকেই মানুষের সঙ্গে আছে। এখন থেকে প্রায় আট হাজার বছর আগেও আঙুরের চাষ হতো। আঙুরের বেশ কয়েকটি জাত আছে। এখন তো দেশেই চাষ হয়। ঢাকার বারডেম জেনারেল হাসপাতালের জ্যেষ্ঠ পুষ্টিবিদ শামছুন্নাহার নাহিদ বললেন, আঙুর যেমন খেতে ভালো, দেখতে সুন্দর, তেমনি পুষ্টিগুণও ষোল আনা। আঙুর কেন আকর্ষণীয়, আসুন জেনে নেওয়া যাক।ভুলে যাওয়া রোগঅনেকে ছোট ছোট বিষয়গুলো দ্রুত ভুলে যান। আবার কোনো ঘটনা বেমালুম স্মৃতি থেকে মুছে যায়। এটা কিন্তু একধরনের রোগ, হেলাফেলার কিছু নয়। এই রোগ এড়াতে খেতে পারেন আঙুর।মাথাব্যথাহঠাৎ করে মাথাব্যথা শুরু হয়ে গেল। এ সময় আঙুর খেলে আরাম বোধ হবে।হজমের জন্যদাওয়াত খেয়ে এসে অস্বস্তি লাগলে খেতে পারেন আঙুর। হজমের জন্য যেমন ভালো, পেটের পীড়ার জন্যও উপকারী।চোখের স্বাস্থ্যচোখ ভালো রাখতে কার্যকর এই ফল। বয়সজনিত কারণে যাঁরা চোখের সমস্যায় ভুগছেন, তাঁদের জন্য ভালো দাওয়াই এই ফল।স্তন ক্যানসারস্তন ক্যানসারের ঝুঁকিতে আছেন এমন রোগীরা খেতে পারেন আঙুর। গবেষণায় দেখা গেছে, আঙুরের উপাদানগুলো ক্যানসার সৃষ্টিকারী কোষের বিরুদ্ধে কাজ করতে সক্ষম।কিডনির জন্যআঙুরের উপাদানগুলো ক্ষতিকারক ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা সহনশীল অবস্থায় রাখে।সেই সঙ্গে কিডনির রোগব্যাধির বিরুদ্ধেও লড়াই করে।ত্বকের সুরক্ষায়আঙুরে থাকা ফাইটো ক্যামিকেল ও ফাইটো নিউট্রিয়েন্ট ত্বকের সুরক্ষায় কাজ করে। আর আছে প্রচুর ভিটামিন সি। এটি ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখে।বয়সের ছাপে বাধাশরীরের ফ্রি রেডিকেলস ত্বকে বলিরেখা ফেলে দেয়। আঙুরে থাকা ভিটামিন সি আর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এই ফ্রি রেডিকেলের বিরুদ্ধে লড়ে, শরীরে বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না।হৃদ্স্বাস্থ্যএতে থাকা উপাদানগুলো রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রেখে হৃদ্স্বাস্থ্য ভালো রাখে। সেই সঙ্গে প্রয়োজনীয় অক্সিজেন ও পুষ্টি পৌঁছে দিয়ে রক্তনালির সুরক্ষায় রাখে ভূমিকা।চুলের যত্নেদীঘল চুল একটু অযত্নেই খুশকিতে ভরে যায়। চুলের আগা ফেটে গিয়ে রুক্ষ হয়ে পড়ে। ধূসর রঙের হয়ে যায় কখনো। সব শেষে চুল ঝরতে থাকে। এই সমস্যা এড়াতে খেতে পারেন আঙুর। শুধু চুল ভালোই থাকবে না, মাথায় নতুন চুলও গজাবে।অধুনা প্রতিবেদক
136,878
কলকাতা প্রতিনিধি
entertainment
বিনোদন
২৫ নভেম্বর ২০১৩, ০০:০৬
২৫ নভেম্বর ২০১৩, ০০:০৬
বিনোদন,বিদেশের গান
0
দুই মলাটে সলিলের সব গান
http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/81829
সলিল চৌধুরী তৈরি করেছেন অসংখ্য গণসংগীত। সুর দিয়েছেন আধুনিক বাংলা গানসহ ভারতের বাংলা, হিন্দি ও মালয়ালাম চলচ্চিত্রের গানে। করেছেন সংগীত পরিচালনাও। কণ্ঠ দিয়েছেন অনেক গানে। ১৯ নভেম্বর ছিল তাঁর জন্মদিন। এই মহান সুরস্রষ্টার মৃত্যুর ১৮ বছর পূর্ণ হলো গত ৬ সেপ্টেম্বর। এবার তাঁর গান আর কাজের বিস্তৃত সম্ভারকে দুই মলাটের মধ্যে আনা হলো। আর এই উদ্যোগ নিয়েছেন সলিল চৌধুরীর পরিবার। বইটির নাম সলিল রচনা সংগ্রহ।সম্প্রতি সলিল রচনা সংগ্রহ বইয়ের মোড়ক খুললেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সলিল চৌধুরীর স্ত্রী সবিতা চৌধুরী, মেয়ে অন্তরা চৌধুরী, শিল্পী দ্বিজেন মুখোপাধ্যায়সহ আরও অনেকে। মোড়ক খোলার পর ছিল প্রখ্যাত শিল্পীদের পরিবেশনায় সলিল চৌধুরীর গান আর তাঁকে নিয়ে স্মৃতিচারণা।
30,751
জুড়ী (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
০৭ ডিসেম্বর ২০১৬, ০১:০৭
০৭ ডিসেম্বর ২০১৬, ০১:০৯
বিশাল বাংলা,রাজনীতি
0
কুলাউড়ায় ছাত্রদলের কার্যক্রম স্থগিত
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1035219
মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সব কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। মৌলভীবাজার জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জাকির হোসেন ও জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক গাজী মারুফের ৪ ডিসেম্বর স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।দলীয় সূত্রে জানা গেছে, সাত-আট মাস আগে আবদুল মুহিতকে আহ্বায়ক করে কুলাউড়া উপজেলা ছাত্রদলের কমিটি অনুমোদন করে জেলা কমিটি। পরে এ কমিটি উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন কমিটি গঠন শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় ৪ ডিসেম্বর উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নে কমিটি গঠন করা হয়।সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জেলা ছাত্রদলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৪ ডিসেম্বর দুপুর ১২টা থেকে শুধু কুলাউড়া উপজেলা ছাত্রদলের সব ধরনের সাংগঠনিক কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত ঘোষণা করা হলো।স্থগিত কুলাউড়া উপজেলা ছাত্রদলের কমিটির আহ্বায়ক আবদুল মুহিত বলেন, ‘আমরা সাত-আটটি ইউনিয়নে কমিটি গঠন করে ফেলেছি। হাজীপুর ইউনিয়নে জেলা ছাত্রদলের নেতাদের পছন্দের লোকেরা কমিটিতে না আসায় তাঁরা সংগঠনের কার্যক্রম স্থগিত করেছে বলে জেনেছি।’
272,159
ইকবাল গফুর, সখীপুর (টাঙ্গাইল)
bangladesh
বাংলাদেশ
২৮ ডিসেম্বর ২০১৫, ০৩:১৯
২৮ ডিসেম্বর ২০১৫, ০৩:২৪
রাজনীতি,পৌরসভা নির্বাচন
null
নৈশপ্রহরী ও পিয়ন পোলিং কর্মকর্তা!
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/724231
টাঙ্গাইলের সখীপুর পৌরসভা নির্বাচনে নয়টি ভোটকেন্দ্রের পাঁচটিতে একজন করে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীকে পোলিং কর্মকর্তা (অফিসার) হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তাঁদের চারজন নৈশপ্রহরী, একজন পিয়ন।সখীপুর রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে গতকাল রোববার ওই নয়টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণের জন্য প্রিসাইডিং, সহকারী প্রিসাইডিং ও পোলিং কর্মকর্তাসহ ১৫৫ জনের নিয়োগপত্র পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।নির্বাচনে পোলিং কর্মকর্তাদের কাজ হচ্ছে ভোটকেন্দ্রে ভোটারকে শনাক্ত করে ভোটার তালিকায় টিক চিহ্ন দেওয়া ও আঙুলে কালি দেওয়া।সখীপুর রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, ৩০ ডিসেম্বর সখীপুর পৌরসভার নয়টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণের জন্য উপজেলার বিভিন্ন সরকারি কার্যালয়ের নয়জন কর্মকর্তাকে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। এ ছাড়া সহকারী প্রিসাইডিং ও পোলিং কর্মকর্তা হিসেবে স্থানীয় উচ্চবিদ্যালয় ও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান ও সহকারী শিক্ষকদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। উপজেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৭০০-এর বেশি ও ৫০টি এমপিওভুক্ত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৫০০-এর বেশি শিক্ষক থাকলেও তাঁদের নিয়োগ না দিয়ে চারজন নৈশপ্রহরী ও একজন এমএলএসএসকে (পিয়ন) নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তাঁরা হচ্ছেন মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যালয়ের নৈশপ্রহরী মনোয়ার হোসেন, ওই কার্যালয়ের এমএলএসএস রতন তালুকদার, বগা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নৈশপ্রহরী জহিরুল ইসলাম, গড়গোবিন্দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নৈশপ্রহরী শাহীন আলম ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের (ইউআরসি) নৈশপ্রহরী মো. মিন্টু মিয়া।নৈশপ্রহরী মনোয়ার হোসেন ও এমএলএসএস রতন তালুকদার প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা অফিসার হিসেবে নিয়োগ পেয়েছি কি না জানি না। তবে আমি ভোটের দিন স্যারদের ফরমাশ খাটব।’৭ নম্বর ওয়ার্ডের আদর্শ শিশুকানন কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা একাডেমিক সুপারভাইজার আনোয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, প্রতিটি কেন্দ্রে প্রিসাইডিং ও পোলিং কর্মকর্তাদের আপ্যায়ন ও চা আনা-নেওয়ার জন্য পিয়ন দরকার। এ জন্যই তাঁদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।পৌরসভায় বিএনপির মেয়র প্রার্থী নাসির উদ্দিন ও জাতীয় পার্টির আয়নাল হক মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, সরকার নির্বাচনে কারচুপি করার জন্য নানা কৌশল নিয়েছে।নিয়োগ পাওয়া একাধিক পোলিং কর্মকর্তা ও শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে পিয়নদের সমান গুরুত্ব দিয়ে আমাদের অপমান করা হয়েছে।’জানতে চাইলে সখীপুরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও রিটার্নিং কর্মকর্তা এস এম রফিকুল ইসলাম গতকাল সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে বলেন, ‘প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতেই চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের পোলিং কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। বস্তা টানা বা এ রকম ছোটখাটো কাজ করতে চান না প্রিসাইডিং কর্মকর্তারা। কাজের সহযোগিতার জন্য তাঁরা নিজেদের অফিসের লোকদেরই পোলিং অফিসার পদে চেয়েছেন। তাই তাঁদের নিয়োগ দিয়েছি।’ এই রিটার্নিং কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘পাঁচজন নয়, এর চেয়ে বেশি নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তবে কোনো অসৎ উদ্দেশ্য থেকে তা করা হয়নি।’জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. তাজুল ইসলাম বলেন, সংসদ নির্বাচনের পরিপত্রে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের নিয়োগ দেওয়া যাবে না বলে উল্লেখ থাকলেও পৌর নির্বাচনে এ বিষয়ে সুস্পষ্ট কোনো ব্যাখ্যা নেই। তবে যেহেতু সরকারি শিক্ষকের কোনো অভাব নেই, তাই পিয়নদের নিয়োগ না দেওয়াই সমীচীন।
187,152
নাটোর প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
১০ জানুয়ারি ২০১৭, ০০:৪১
১০ জানুয়ারি ২০১৭, ০০:৪২
নাটোর,রাজশাহী বিভাগ,বিশাল বাংলা,অপরাধ
0
পিস্তল, গুলিসহ তরুণ গ্রেপ্তার
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1056233
নাটোরের সিংড়া উপজেলায় একটি পিস্তল, তিনটি গুলিসহ এক তরুণকে তাঁর বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার আলাউদ্দিন সরকার (২১) নাছিয়ারকান্দি এলাকার বাসিন্দা। জেলা গোয়েন্দা পুলিশ সূত্র জানায়, গতকাল সোমবার ভোরে আলাউদ্দিনকে আটক করা হয়। দুপুরে তাঁকে অস্ত্র মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে সিংড়ার আমলি আদালতে হাজির করা হয়। আদালত তাঁকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক আবদুল হাই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
281,999
অনলাইন ডেস্ক
sports
খেলা
০৭ আগস্ট ২০১৫, ১১:৫৭
০৭ আগস্ট ২০১৫, ১১:৫৯
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট
null
অস্বাভাবিক চমকে ভরা একটি দিন
http://www.prothom-alo.com/sports/article/596062
অ্যাশেজ শেষ হতে এখনো অনেক বাকি। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটাররা হয়তো চটজলদি দেশে ফিরতে পারলেই বাঁচেন। দেরি করলে তো দেশে ঢুকতে পারা নিয়েই দুশ্চিন্তা থেকে যাবে। গতকাল অস্ট্রেলিয়ান পররাষ্ট্র মন্ত্রী জুলি বিশপকে সাংবাদিকেরা প্রশ্ন করেন, খেলোয়াড়দের নাগরিকত্ব কেড়ে নেবেন কি না। মন্ত্রী অবশ্য মজা করেই ভেবে দেখার কথা বলেছেন। ট্রেন্টব্রিজ টেস্টের সকালের সেশনের পর ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া দুই দেশের মিডিয়াই ঝাঁপিয়ে পড়েছে অস্ট্রেলিয়া দলের ওপর। সাবেক ক্রিকেট তারকাদের প্রতিক্রিয়ায় হতাশা চেয়ে বিস্ময়ই ছিল বেশি। শেন ওয়ার্ন তো খেলা নিয়ে কথাই বলতে চাইলেন না। টুইটারে লিখেছেন, ‘নটিংহামের প্রথম দিনটি ভালো যাচ্ছে না। মনে হচ্ছে আজ পান করেই দুঃখ ভুলতে হবে।’ রিকি পন্টিং অবশ্য ক্রিকেটীয় বিশ্লেষণ দেওয়ার চেষ্টা করেছেন এই বিপর্যয়ের। তিনি বলেন, ‘আমার মনে হলো তারা বিভ্রান্ত ছিল। কীভাবে যে খেলবে, সেটাই বুঝে উঠতে পারছিল না। তাদের আরও রক্ষণাত্মক হওয়া উচিত ছিল। টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানদের চেয়ে মিশেল জনসনের ব্যাটিং ছিল অনেক ভালো।’ সাবেক ইংলিশ অধিনায়ক মাইকেল ভন অস্ট্রেলিয়ানদের মানসিকতায় সমস্যা দেখছেন। টেলিগ্রাফের কলামে ভন লেখেন, ‘তাঁদের মধ্যে আমি লড়াইয়ের ইচ্ছেই দেখলাম না। টস হারার পরই তাঁদের অনেকেই হার মেনে নিয়েছেন। তাঁরা সমস্যার সমাধান করতে না চেয়ে উল্টো বড় বড় শট খেলতে চেয়েছেন।’ ইয়ান হিলির তো দলের একতা নিয়েই প্রশ্ন জেগেছে। চ্যানেল নাইনে তিনি বলেন, ‘তারা কি দলের মতো খেলছে? তারা কি এই ভুল থেকে শিখছে কিছু? তারা কি পরে এসব নিয়ে কথা বলে? তারা কি সমস্যা সামাল দেওয়ার সাহস রাখে? 'অ্যাডাম গিলক্রিস্ট অবশ্য এত কিছুর ধার ধারেননি। তাঁর মতে, অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং খেলার পর্যায়েই ছিল না। তিনি বলেন, ‘রাতের খাওয়া শেষ করে থিয়েটার দেখে মাত্র ফিরলাম। এবার খেলা দেখার পালা।’ ডেমিয়েন মার্টিনের কথায়ও একই সুর। তিনি বলেন, ‘বাদবাকিদের কথা জানি না, তবে এসবিএসের “কিচেন নোটবুকের” আজকের এপিসোডটি খুব উপভোগ করলাম।’ নাথান ব্র্যাকান অবশ্য আশা ছাড়েননি। মজাই করলেন একটু, ‘১১ নম্বর ব্যাটসম্যান কি একা খেলে যেতে পারবে না?! ’ডেইলি মেইলের সাইমন বার্নস অবশ্য সবার সব মতামতকে একবাক্যেই প্রকাশ করেছেন, ‘মাঝে মধ্যে খেলা থেকে স্বাভাবিকতা হারিয়ে যায়। আজ ছিল এমন একদিন, খেলার অস্বাভাবিকতায় বাস্তবতা থেমে গিয়েছিল।’
158,147
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
২০ এপ্রিল ২০১৪, ০১:৪২
২০ এপ্রিল ২০১৪, ০১:৪৩
লক্ষ্মীপুর,চট্টগ্রাম বিভাগ,অপরাধ
0
লক্ষ্মীপুরে দুর্বৃত্তের গুলিতে ছাত্রলীগ নেতা আহত
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/196783
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ বাজারে গত শুক্রবার রাতে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এতে অন্তত নয়জন আহত হয়েছেন। পরে গভীর রাতে দুর্বৃত্তের শটগানের গুলিতে উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি কাজী মামুনুর রশিদ আহত হয়েছেন।এ ঘটনার প্রতিবাদে গতকাল শনিবার সকাল সাতটা থেকে ১০টা পর্যন্ত ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা লক্ষ্মীপুর-ঢাকা সড়ক অবরোধ করে রাখেন। পরে পুলিশ গিয়ে অবরোধ উঠিয়ে দিলে আবার যান চলাচল শুরু হয়।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার দুপুরে আওয়ামী লীগের কর্মী নাজিম উদ্দিনের কনফেকশনারি দোকানে এক ছাত্রলীগ কর্মীর পানি খাওয়াকে কেন্দ্র করে দুজনের মধ্যে বাগিবতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে নাজিমকে ওই কর্মী চড় মারেন। এ ঘটনায় রাতেই বাজারের একটি দোকানে সালিস বসে। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে নাজিম ছাড়াও আওয়ামী লীগের কর্মী মনির হোসেন, সিরাজ উদ্দিন, মাইকেল, নাছির উদ্দিন ও ছাত্রলীগের কর্মী শিমুল, আরজু, রাহান, রিয়াজ আহত হন। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।শুক্রবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে ছাত্রলীগ নেতা মামুনুরের দেওপাড়া গ্রামের বাড়িতে দুর্বৃত্তরা হামলা চালায়। এ সময় মামুনুর পিঠে গুলিবিদ্ধ হন। পরে তাঁকে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।মামুনুর প্রথম আলোকে বলেন, রাত দুইটার দিকে দুর্বৃত্তরা তাঁকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি করে।
67,123
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, ০১:১৯
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, ০১:২০
লক্ষ্মীপুর,চট্টগ্রাম বিভাগ,বিশাল বাংলা,অপরাধ
0
লক্ষ্মীপুরে যুবলীগের কর্মীকে গুলি করে হত্যা
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/445993
লক্ষ্মীপুরে সন্ত্রাসীদের গুলিতে মো. বাবর হোসেন (২৬) নামে এক ব্যক্তি খুন হয়েছেন। গতকাল শনিবার রাত আটটার দিকে সদর উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।নিহত বাবর হোসেন লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার দিঘলী ইউনিয়নের পূর্ব দিঘলী গ্রামের মফিজ উল্যার ছেলে। তিনি যুবলীগের কর্মী ছিলেন বলে দাবি করেছেন দিঘলী ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক তাজুল ইসলাম।পুলিশ সূত্র জানায়, শনিবার রাত আটটার দিকে দিঘলী ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামের আনছার আলী সর্দার বাড়িতে সন্ত্রাসীরা বাবর হোসেনকে গুলি করে। কপালে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। নয় মাস আগেও এই গ্রামে যুবলীগের আরেক নেতা সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন বলে পুলিশ জানিয়েছে।লক্ষ্মীপুরের পুলিশ সুপার শাহ মিজান মো. শাফিউর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, দলীয় কোন্দল বা মাদক ব্যবসা নিয়ে বিরোধের কারণে বাবরকে খুন করা হতে পারে।কমলনগরে আ.লীগ নেতাকে কুপিয়ে জখম: রামগতি (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি জানান, লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার মতিরহাট মাছঘাট এলাকায় গত শুক্রবার রাতে মো. আলাউদ্দিন নামে আওয়ামী লীগের এক নেতাকে কুপিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা।কমলনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম চৌধুরী জানান, আলাউদ্দিন চর কালকিনি ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে মতিরহাট মাছঘাট এলাকায় দুর্বৃত্তরা তাঁকে কুপিয়ে জখম করে। কমলনগর থানার ওসি কবির আহাম্মদ জানান, ব্যবসায়িক বিরোধের জের ধরে এ ঘটনা ঘটেছে।
113,700
কলকাতা প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
২০ জানুয়ারি ২০১৭, ১০:৫৭
২০ জানুয়ারি ২০১৭, ১৭:৫৭
-1
0
কলকাতা বইমেলায় বাংলাদেশের ৩৮টি প্রকাশনা সংস্থা
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1063571
কলকাতার ঐতিহ্যবাহী আন্তর্জাতিক বইমেলা ২৫ জানুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে। চলবে ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এই মেলায় বাংলাদেশ থেকে যোগ দিচ্ছে ৩৮টি প্রকাশনা সংস্থা। মেলার সবচেয়ে বড় প্যাভিলিয়নটি হবে বাংলাদেশের।গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে কলকাতার একটি অভিজাত ক্লাব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে বইমেলার দিন-তারিখ ঘোষণা করা হয়।বইমেলার আয়োজক সংস্থা পাবলিশার্স অ্যান্ড বুক সেলার্স গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায় বলেন, ২৫ জানুয়ারি বিকেলে মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হবে। যৌথভাবে মেলার উদ্বোধন করবেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও কোস্টারিকার লেখিকা রোকসানা পিন্টো লোপেজ।এবারে এই বইমেলা ৪১ বছরে পা দিচ্ছে। বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ মেলায় অংশ নিচ্ছে।যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, চীন, জাপান, ভিয়েতনামসহ লাতিন আমেরিকার বিভিন্ন দেশ এই বইমেলায় যোগ দেবে।এবার বইমেলার ‘থিম কান্ট্রি’ কোস্টারিকা। আর ভারতের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্কের ৭০ বছরকে স্মরণ করতে বিশেষ অতিথি দেশ হিসেবে থাকছে রাশিয়া।ভারতের ৬০০টি প্রকাশনা সংস্থা এবং ২০০টি লিটল ম্যাগাজিন প্রকাশনা সংস্থা এই মেলায় অংশ নিচ্ছে।বাংলাদেশ থেকে ৩৮টি প্রকাশনা সংস্থার বই যোগ দিচ্ছে। এবারের বইমেলার সবচেয়ে বড় প্যাভিলিয়নটি হবে বাংলাদেশের। দিনাজপুরের কান্তজি মন্দিরের আদলে প্যাভিলিয়নটি গড়া হচ্ছে।বইমেলায় আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি উদ্‌যাপিত হবে বাংলাদেশ দিবস। এই দিবসে বাংলাদেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা যোগ দেবেন।
285,107
শিশির মোড়ল ও কুন্তল রায়
bangladesh
বাংলাদেশ
০২ এপ্রিল ২০১৪, ০৩:০০
০২ এপ্রিল ২০১৪, ০৩:০১
-1
null
১৩টির ভাগ্য ঝুলছে, কপাল খুলেছে একটির
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/182926
শর্ত পূরণ না করলেও আবদুল হামিদ মেডিকেল কলেজকে আবার শর্ত দিয়ে অনুমোদনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে ইউএস ডেন্টাল কলেজ ও রংপুরের কছির উদ্দিন মেডিকেল কলেজকে এখনই অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে না। গতকাল মঙ্গলবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে এক সভায় এ সিদ্ধান্ত হয় বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়।মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সভাপতিত্বে ওই সভায় পরিদর্শন প্রতিবেদন নিয়ে আলোচনা হয়। এ ছাড়া অন্য ১১টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজের ভাগ্য নিয়ে পরবর্তী সভায় আলোচনার সিদ্ধান্ত হয়। সভায় উপস্থিত বেসরকারি মেডিকেল কলেজ অনুমোদনসংক্রান্ত কমিটির দুজন সদস্য প্রথম আলোকে বলেন, একটি ডেন্টাল ও দুটি মেডিকেল কলেজ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সভায় কিশোরগঞ্জে রাষ্ট্রপতির নামের কলেজটিকে শর্তসাপেক্ষে অনুমোদন দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ছয় মাসের মধ্যে কলেজ কর্তৃপক্ষকে প্রাথমিক শর্ত পূরণ করতে হবে।গত ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের মাস দুয়েক আগে ১৩টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ ও একটি ডেন্টাল কলেজের অনুমোদন দেওয়া হয়। কিন্তু শর্ত না মেনে অনুমোদন দেওয়ায় এ নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। মোহাম্মদ নাসিম স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নেওয়ার পর এগুলোর কার্যক্রম স্থগিত করেন এবং কলেজগুলো পরিদর্শন করে প্রতিবেদন জমা দিতে বলেন। চার কমিটির প্রতিবেদন নিয়েই গতকালের সভায় আলোচনা হয়েছে।আবদুল হামিদ মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক হয়েছেন রাষ্ট্রপতির শ্যালক আ ন ম নৌশাদ খান। রাষ্ট্রপতির স্ত্রী, ছেলে ও আত্মীয়রা কলেজটি পরিচালনার সঙ্গে জড়িত।নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর এক দিনেই ১১টি মেডিকেল ও একটি ডেন্টাল কলেজের অনুমোদন দেওয়া হয়। অন্য দুটি এর কিছুদিন আগে অনুমোদন পায়। এগুলোর মধ্যে পাঁচটির উদ্যোক্তা আওয়ামী লীগপন্থী চিকিৎসকেরা। একটির সঙ্গে জড়িত আওয়ামী লীগের একজন সাবেক প্রতিমন্ত্রী। বাকিগুলোর উদ্যোক্তা ব্যবসায়ীরা। একজন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা করেন।মৌলিক শর্ত পূরণ না করলেও মন্ত্রণালয়ের কমিটি ‘সাপেক্ষে’ বা ‘শর্তসাপেক্ষে’ কলেজগুলোকে অনুমোদন দেয়। এর মধ্যে ছয়টি কলেজ সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমতি না নিয়েই ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষে ছাত্রছাত্রী ভর্তি করে। শর্ত পূরণ করেনি জেনেও তিনটি কলেজকে শিক্ষার্থী ভর্তির অনুমতি দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।এগুলো অনুমোদন দেওয়া হয় যে সভায় তার কার্যবিবরণীতে দেখা যায়, ওই সভায় সভাপতিত্ব করেন সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী আ ফ ম রুহুল হক। উপস্থিত ছিলেন সাবেক স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী মজিবুর রহমান ফকির, বর্তমান স্বাস্থ্যসচিব এম এম নিয়াজউদ্দিন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা) এ বি এম আবদুল হান্নানসহ পদস্থ কর্মকর্তারা।কার্যবিবরণীতে শর্তপূরণ সাপেক্ষে অনুমোদন দেওয়ার কথা উল্লেখ থাকলেও বাস্তবে শর্তপূরণ ছাড়াই কলেজগুলো অনুমোদন পায়।এ বিষয়ে জানতে চাইলে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, কলেজগুলোর মালিকপক্ষ ও সরকারি কর্তৃপক্ষের যোগসাজশে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তিনি মনে করেন, শুধু কার্যক্রম স্থগিত করলে হবে না, এর সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া উচিত।শর্তগুলো কী: ‘বেসরকারি মেডিকেল কলেজ স্থাপন ও পরিচালনা নীতিমালা ২০১১’-এ উল্লেখ আছে, কলেজ হবে নিজস্ব জায়গায়, ভাড়া বাড়িতে কলেজ ও হাসপাতাল স্থাপন করা যাবে না। একাডেমিক ভবন ও হাসপাতাল ভবন পৃথক থাকবে, দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের ধারণা গ্রহণযোগ্য হবে না এবং ৫০ আসনের মেডিকেল কলেজের একাডেমিক কার্যক্রম শুরুর কমপক্ষে দুই বছর আগে প্রস্তাবিত ক্যাম্পাসে ২৫০ শয্যার হাসপাতাল চালু থাকতে হবে।প্রথম আলোর অনুসন্ধানে দেখা গেছে, আলোচিত কলেজগুলো ওপরের শর্তগুলো মানেনি।মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব (চিকিৎসা শিক্ষা) মতিউর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘নীতিমালা আমাদের কাছে বাইবেলের মতো। এর বাইরে গিয়ে আমরা কিছু করিনি।’ যারা শর্ত মানেনি তাদের জন্য আবার নতুন শর্ত কেন? এর উত্তরে তিনি বলেন, ‘আমার ওপরে অনেক কর্মকর্তা আছেন। তাঁদের সঙ্গে কথা বলুন।’স্বাস্থ্যসচিব বলেন, ‘কমিটি অনুমোদন দিয়েছে। আমি নই।’মেডিকেলের মালিকানায় যাঁরা: প্রথম আলোর অনুসন্ধানে দেখা গেছে, অনুমোদন পাওয়া চট্টগ্রামের মেরিন সিটি মেডিকেল কলেজের মূল উদ্যোক্তা মো. শরিফ চট্টগ্রাম বিএমএর মহাসচিব। স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) প্যানেল থেকে নির্বাচন করে তিনি জয়ী হন। সিলেটের পার্ক ভিউ মেডিকেল কলেজের উদ্যোক্তা ও অধ্যক্ষ ওসুল আহমেদ চৌধুরী আওয়ামী লীগপন্থী চিকিৎসক। ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ও উদ্যোক্তা মো. শফিকুল ইসলামও আওয়ামীপন্থী চিকিৎসক। খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজের মূল উদ্যোক্তা চিংড়ি ব্যবসায়ী সৈয়দ আসফাক আলী। তাঁর সঙ্গে আছেন তিনজন আওয়ামীপন্থী চিকিৎসক। ঢাকা কেয়ার মেডিকেলের উদ্যোক্তা মো. মোয়াজ্জেম হোসেনকে মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ পদে বসিয়েছিল।রাজশাহীর শাহ মাখদুম মেডিকেল কলেজের পরিচালনার সঙ্গে আছেন আওয়ামী লীগের সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী ওমর ফারুক চৌধুরী। রংপুরের কছির উদ্দিন মেমোরিয়াল মেডিকেল কলেজের উদ্যোক্তা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দীর্ঘ দিনের ব্যবসায়ী মোতাজ্জেরুল ইসলাম। এর আগে তিনি রুহুল হকের ছেলে জিয়াউল হককে সঙ্গে নিয়ে ঢাকা সেন্ট্রাল ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
62,752
কূটনৈতিক প্রতিবেদক
bangladesh
বাংলাদেশ
১৩ নভেম্বর ২০১৬, ১৬:০৩
১৩ নভেম্বর ২০১৬, ১৯:২৪
সরকার
null
জলবায়ু সম্মেলন: সোমবার মরক্কো যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1019979
মরক্কোর মারাক্কেশে অনুষ্ঠেয় জলবায়ু সম্মেলনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাল সোমবার সকালে মরক্কো যাচ্ছেন। সেখানে ৫৮ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন প্রধানমন্ত্রী।জলবায়ুবিষয়ক প্যারিস চুক্তি সম্প্রতি কার্যকর হওয়ায় এবারের জলবায়ু সম্মেলনের বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে।আজ রোববার বিকেলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী তাঁর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, গত বছর প্যারিস চুক্তিতে বাংলাদেশসহ ১৯৭টি দেশ সই করেছিল। এ পর্যন্ত বাংলাদেশসহ ১০৯টি দেশ চুক্তিটি অনু সমর্থন করেছে। চুক্তি কার্যকরের ন্যূনতম আবশ্যকীয় শর্তগুলো পূরণ হওয়ায় গত ৪ নভেম্বর থেকে চুক্তিটি কার্যকর হয়েছে।এক প্রশ্নের উত্তরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, এবারের জলবায়ু সম্মেলনে ৫৬ জন রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান যোগ দিচ্ছেন। এর মধ্যে ৩৭ জন রাষ্ট্রপ্রধান এবং ১৯ জন সরকারপ্রধান রয়েছেন। সরকারপ্রধান হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৫৮ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন।বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলে আরও থাকছেন পানিসম্পদমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, পরিবেশ ও বনমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী প্রমুখ।প্রধানমন্ত্রীর আগামী বুধবার মরক্কো থেকে ঢাকায় ফেরার কথা রয়েছে।
264,748
অনলাইন ডেস্ক
technology
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
২০ আগস্ট ২০১৬, ১৪:১১
২০ আগস্ট ২০১৬, ১৪:১৩
খবরাখবর
null
ডুয়োর বাজিমাত
http://www.prothom-alo.com/technology/article/952051
স্কাইপ, মেসেঞ্জারকে টেক্কা দিতে গুগল এনেছে ডুয়ো নামের অ্যাপ। সপ্তাহ না পেরোতেই গুগলের এই ভিডিও কলিং অ্যাপ গুগল প্লে স্টোরের শীর্ষে উঠে এসেছে।ডুয়োর কারিগরি টিমের প্রধান জাস্টিন উবারটি এব টুইটে এ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, বিনা মূল্যের অ্যাপগুলোর মধ্যে শীর্ষে উঠে এসেছে ডুয়ো। এ ছাড়া বিশ্বজুড়ে এই অ্যাপটি বিনা মূল্যে ডাউনলোডের জন্য ছাড়া হয়েছে।এ বছরের মে মাসে গুগলের আই/ও সম্মেলনে ডুয়ো অ্যাপটির কথা প্রকাশ করা হয়। ১৬ আগস্ট গুগলের অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমচালিত ডিভাইস ও আইওএস প্ল্যাটফর্মে অ্যাপটি উন্মুক্ত করে গুগল।গুগলের দাবি, তাদের তৈরি অ্যাপটি ফেসটাইম, স্কাইপ, ভাইবারের মতো অ্যাপগুলোর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। যাঁদের ফোনে এই অ্যাপটি ডাউনলোড করা থাকবে, তাদের কন্টাক্ট নম্বর থাকলেই ভিডিও কল দেওয়া যাবে। দুর্বল নেটওয়ার্কেও ভালো মানের ভিডিও কল করা যাবে ডুয়োতে। এতে এনক্রিপশন প্রযুক্তি থায় ভিডিও কল হবে নিরাপদ। এ ছাড়া এতে ‘নক নক’ নামের একটি ফিচার থাকবে, যাতে কে কল করছে, তা আগে দেখে নেওয়া যাবে। তথ্যসূত্র: সিনেট।আরও পড়ুন:স্কাইপের সঙ্গে টেক্কা দেবে গুগলের ডুয়ো?
251,485
লাকসাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
১৭ নভেম্বর ২০১৩, ০১:২১
১৭ নভেম্বর ২০১৩, ০১:২২
লাকসাম,কুমিল্লা,চট্টগ্রাম বিভাগ,অপরাধ,বিশাল বাংলা
0
লাকসামে সালিস বৈঠকে দুজনকে কুপিয়ে হত্যা
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/75313
কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার দৌলতপাড়া গ্রামে গত শুক্রবার একটি সালিস বৈঠকে দুজনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।নিহত ব্যক্তিরা হলেন ওই গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত স্কুলশিক্ষক মো. আবদুর রহিম (৭০) ও শাহ আলমের ছেলে অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র সাগর (১৪)। এ সময় আহত হয়েছেন আরও তিনজন। এ ঘটনায় পুলিশ ওই রাতেই রাশেদুল ইসলাম ওরফে সুমন, তাঁর বাবা আমির হোসেন ও জুনাব আলীকে গ্রেপ্তার করেছে।পুলিশ সূত্রে জানা যায়, জমিজমা নিয়ে ওই গ্রামের আমির হোসেনের সঙ্গে তাঁর দুই সহোদর শাহ আলম ও ইমাম হোসেনের বিরোধ চলছিল। শুক্রবার বিরোধীয় জায়গার পরিমাপ শেষে সন্ধ্যায় বাড়িতে একটি সালিস বৈঠক বসে। একপর্যায়ে আমির হোসেনের ছেলে রাশেদুল ইসলাম শাহ আলম, ইমাম হোসেন, শাহ আলমের ছেলে শামীম ও সাগরকে কুপিয়ে আহত করেন। এ সময় শাহ আলমের চাচা আবদুর রহিম থামাতে গেলে রাশেদুল তাঁকেও কোপান।আহত ব্যক্তিদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আবদুর রহিম ও সাগরকে মৃত ঘোষণা করেন।
28,574
বিনোদন ডেস্ক
entertainment
বিনোদন
০২ অক্টোবর ২০১৮, ১৩:০৯
০২ অক্টোবর ২০১৮, ১৩:১৪
বলিউড
0
নতুন পরিচয়ে দীপিকা পাড়ুকোন
http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/1559791
সাত পাকে বাঁধা পড়ে নিজের নাম কিংবা পরিচয় বদলাতে যাচ্ছেন না দীপিকা পাড়ুকোন। পেশাগত দায়িত্বের জের ধরেই দীপিকা এক নতুন পরিচয়ে সবার সামনে আসতে যাচ্ছেন। তিনি হতে যাচ্ছেন প্রযোজক। তাঁর প্রযোজিত প্রথম ছবির শুটিং শুরু হবে আগামী বছর থেকে। ছবির নাম ঠিক না হলেও গল্পটা মোটামুটি ঠিক হয়ে গেছে। এটি হবে নারীনির্ভর একটি গল্পের ছবি। অ্যাসিড–সন্ত্রাসের শিকার এক নারীর জীবনের গল্প নিয়ে তৈরি হবে ছবিটি।বলিউডে মুক্তি পাওয়া দীপিকা পাড়ুকোনের সর্বশেষ ছবি ছিল পদ্মাবত। এই ছবি দারুণ সাফল্য অর্জন করে ভারতীয় বক্স অফিসে। এরপর থেকে সাবধানী হয়ে যান এই অভিনেত্রী। এখনো নতুন কোনো ছবি হাতে নেননি। খুব বুঝে–শুনে ফেলছেন পা। দীপিকা পাড়ুকোনের কাছের একজন জানিয়েছেন, দীপিকা এখন থেকে নিজের চরিত্র নিয়ে খুব সচেতন হয়ে উঠেছেন। তাঁর প্রযোজিত প্রথম ছবিটি যেন সব দিক থেকে এগিয়ে থাকে, এ জন্য প্রস্তুতিতে কোনো ঘাটতি রাখছেন না। নারীকেন্দ্রিক ছবি তৈরির জন্য দীপিকা পরিচালক হিসেবেও বেছে নিয়েছেন এক প্রভাবশালী গুণী নারী চলচ্চিত্র নির্মাতাকে। তিনি হলেন মেঘনা গুলজার। এর আগে এই নির্মাতা তালভার ও রাজি ছবি দুটি পরিচালনা করে বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছেন।দীপিকা প্রযোজিত প্রথম ছবির মূল চরিত্রের নাম ‘লক্ষ্মী’। অ্যাসিড নিক্ষেপ করে এই লক্ষ্মীর মুখ ঝলসে দেয় দুষ্কৃতকারীরা। তবে সেই দুর্ঘটনা থেকে লক্ষ্মী বেশ সংগ্রামের মধ্য দিয়ে নিজেকে বের করে আনে। হয়ে ওঠে এক অনুপ্রেরণার নাম। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, নিজের প্রযোজিত সিনেমায় নিজেই অভিনয় করবেন দীপিকা। বলিউড হাঙ্গামা।
378,485
ফেনী অফিস
bangladesh
বাংলাদেশ
১০ জানুয়ারি ২০১৫, ০১:৪৭
১০ জানুয়ারি ২০১৫, ০১:৪৯
ফেনী,বিশাল বাংলা,চট্টগ্রাম বিভাগ,রাজনীতি
null
স্বতন্ত্র সাংসদ রহিম উল্যার গ্রেপ্তার দাবি
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/419965
ফেনী-৩ আসনের (সোনাগাজী-দাগনভূঞা) স্বতন্ত্র সাংসদ রহিম উল্যার গ্রেপ্তারের দাবি করেছেন সোনাগাজী ও দাগনভূঞা উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতারা। গতকাল শুক্রবার সকালে ফেনীর একটি রেস্তোরাঁয় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সোনাগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম। এ সময় সোনাগাজী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জেড এম কামরুল আনাম, ভাইস চেয়ারম্যান আজিজুল হক ওরফে হিরন, সোনাগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রুহুল আমিন, দাগনভূঞা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম কামাল উদ্দিন, দাগনভূঞা পৌরসভার মেয়র মো. ফারুক খান।লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করা হয়, ৪ জানুয়ারি রাতে সাংসদ রহিম উল্যার নেতৃত্বে বিএনপি-জামায়াত ও জলদস্যুরা উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে হামলা ও গুলি চালায়। এতে দলের অন্তত ৩০ জন নেতা-কর্মী আহত হন। সাংসদ রহিম উল্যা আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করে নিজ বলয়ে একটি সাংগঠনিক কাঠামো দাঁড় করানোর চেষ্টা করছেন।সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, সাংসদের বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে উপজেলার উন্নয়নকাজ ব্যাহত হচ্ছে।সাংসদ রহিম উল্যা তাঁর বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ কাল্পনিক ও ভিত্তিহীন দাবি করে বলেন, ‘যারা অভিযোগ করেছে, তারা ফেনীর একটি চাঁদাবাজ ও টেন্ডার সিন্ডিকেটের সহযোগী হিসেবে পরিচিত। তারা আমার ওপর হামলা করেছে। অন্যায় কাজে বাধা দিলেই তারা খেপে যায়।’
105,517
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
life-style
জীবনযাপন
০৩ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৯:০২
২৪ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৭:৩১
বাংলাদেশ ব্যাংক,পেশা,চাকরিবাকরি,চাকরির খবর
null
আট ব্যাংকের মৌখিক পরীক্ষা শুরু ১০ ডিসেম্বর
http://www.prothom-alo.com/life-style/article/1568157
রাষ্ট্রমালিকানাধীন আট ব্যাংকের মৌখিক পরীক্ষা শুরু ১০ ডিসেম্বর থেকে। গত ২২ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত লিখিত পরীক্ষায়ÿঅংশগ্রণকারী প্রার্থীদের মধ্য থেকে ৪ হাজার ১১ জন প্রার্থীর মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণের জন্য তারিখ ও সময়সূচি নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। মৌখিক পরীক্ষা আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি শেষ হওয়ার কথা।আজ সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানায়, লিখিত পরীক্ষায় পাস করা পরীক্ষার্থীদের তালিকা বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়েছে। সেখান থেকে ক্রমান্বয়ে মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হবে।বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানায়, রাষ্ট্রায়ত্ত তিন ব্যাংকসহ আট ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার (সাধারণ) ১ হাজার ৬৬৩টি শূন্যপদে নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণযোগ্য পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ২ লাখ ১৩ হাজার। ৬১টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত ওই পরীক্ষার অনেক কেন্দ্রেই আসন-ব্যবস্থাপনা, সময়মতো প্রশ্নপত্র না পাওয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগ করেন পরীক্ষার্থীরা। পরে পরীক্ষার্থীদের দাবির মুখে পরীক্ষা বাতিল করা হয়।৮ ব্যাংকের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা পদে নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল করে নতুন করে পরীক্ষা নেওয়া, ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটির (বিএসসি) সদস্যসচিবের পদত্যাগ, প্রতিটি কেন্দ্রে আসনবিন্যাস নিশ্চিত করা, বিতর্কিত কেন্দ্র বাদ দেওয়া, বিকল্প কোনো প্রতিষ্ঠানকে প্রশ্ন প্রণয়নের দায়িত্ব দেওয়াসহ ৯ দফা দাবি ছিল আন্দোলনকারী পরীক্ষার্থীদের।
384,649
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
০৪ মার্চ ২০১৬, ২০:৪৪
০৪ মার্চ ২০১৬, ২১:০৯
নারায়ণগঞ্জ,ঢাকা বিভাগ,অপরাধ
0
যাত্রীবাহী লঞ্চ থেকে ২৪ শ কেজি জাটকা জব্দ
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/788761
নারায়ণগঞ্জের সদর উপজেলার গোপচর এলাকায় বুড়িগঙ্গা নদীতে যাত্রীবাহী একটি লঞ্চে তল্লাশি চালিয়ে দুই হাজার ৪০০ কেজি জাটকা জব্দ করেছে কোস্টগার্ড পাগলা স্টেশনের কর্মকর্তারা। আজ শুক্রবার ভোরে এম ভি মাহিন রিফাত-১ নামের ওই লঞ্চে এ অভিযান চালানো হয়। তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক করা হয়নি। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে কোস্টগার্ড জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আজ ভোরে সদর উপজেলার গোপচর এলাকায় অভিযান চালিয়ে জাটকাগুলো জব্দ করা হয়। জব্দ জাটকাগুলোর মূল্য প্রায় সোয়া সাত লাখ টাকা। জব্দ করা জাটকাগুলো নারায়ণগঞ্জ জেলা মৎস্য কর্মকর্তার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পরে তা জেলার বিভিন্ন মাদ্রাসা, এতিমখানা ও গরিব-দুস্থদের মাঝে বিতরণ করা হয়।
207,459
নিজস্ব প্রতিবেদক
bangladesh
বাংলাদেশ
২১ জুলাই ২০১৩, ০০:০৩
২১ জুলাই ২০১৩, ০০:০৭
আমার চট্টগ্রাম
0
অফিসপাড়ায় অভিজাত ইফতারি
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/27184
দৈনন্দিন কাজকর্ম সেরে নগরের আগ্রাবাদ এলাকার অফিসপাড়ার লোকজন একটু ছিমছাম পরিবেশে বসেই ইফতার করতে চান। অনেকেই ইফতার সারেন এই এলাকার অভিজাত রেস্তোরাঁগুলোতে। তবে কেবল অফিসপাড়ার লোকজন নয়, নগরের নানা আবাসিক এলাকার রোজাদারেরাও এসব রেস্তোরাঁয় ভিড় জমান। হোটেল আগ্রাবাদ: দাম তুলনামূলকভাবে কম হওয়ায় নগরের অভিজাত হোটেল আগ্রাবাদের ইফতারের স্বাদ নিতে পারছেন সাধারণ ক্রেতারাও। থাকছে ললিপপ, অ্যারাবিয়ান গ্র্যান্ড কাবাব ও মাটন হালিমের মতো বেশ কিছু মজার খাবার।হোটেলের পেস্ট্রি শপে এবার গ্রাহকদের সুবিধার জন্য রাখা হয়েছে পাঁচটি ইফতারি বক্স। পাকোড়া, ডাল বড়া, পটেটো কেকসহ ১০ পদের বক্সের দাম ২৭৫ টাকা। ভেজিটেবল সমুচা, চিকেন রেশমি কাবাব, প্লেইন নান দিয়ে সাজানো ইফতারি বক্সের দাম পড়বে ৩০০ টাকা। ৩২৫ টাকা দামের বক্সে আছে চিকেন পাকোড়া, চিকেন টিক্কা ও ভেজিটেবল পাকোড়া। চিকেন মালাই কাবাব, নান, ফ্রাইড প্রন, ভেজিটেবল স্প্রিং রোলসহ ১১ পদের ইফতারি বক্সের দাম ৩৫০ টাকা। বিফ আখনি, সমুচা, অ্যাসরটেড পাকোড়া ও ফ্রায়েড চিকেন দিয়ে সাজানো ইফতারি বক্সের দাম পড়বে ৪০০ টাকা। আগ্রাবাদ হোটেলের ব্যবস্থাপক (ফুড অ্যান্ড বেভারেজ) মুনির আলম সরকার প্রথম আলোকে বলেন, হোটেলের বাসিন্দাদের জন্য নানা আয়োজনে ইফতারি সাজানো হয়েছে। পাশাপাশি এবারই প্রথমবারের মতো পেস্ট্রি শপে ইফতারির বিভিন্ন পদ রাখা হয়েছে। সাধারণ গ্রাহকদের জন্য এসব খাবারের দামও কম রাখা হয়েছে।ইফতারির চারটি পার্টি মেন্যুর সর্বনিম্ন দাম ৬২৫ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৮০০ টাকা। পার্টি মেন্যুতে আছে ভেজিটেবল বড়া, বিফ আখনি, চিকেন বল ও চিকেন হালিম। ডাল বড়া, বিফ হালিম, শ্যামলিনা হালুয়া, চিকেন জালি কাবাব আছে মেন্যু বি-তে। মেন্যু সি-তে আছে চিকেন ভুনা খিচুড়ি, ভেজিটেবল স্প্রিং রোল ও চিকেন হালিম। আর মেন্যু ডি-তে আছে জিরার শরবত, চিকেন রেশমি কাবাব, মাটন আখনি ও মাটন হালিম। অ্যাম্ব্রোসিয়া: সপ্তাহের সাত দিনই ভিন্ন ভিন্ন পদ নিয়ে সাজানো হয়েছে আগ্রাবাদের অ্যাম্ব্রোসিয়া রেস্তোরাঁর ইফতারের আয়োজন। আছে সেট মেন্যু ও তিন ধরনের বিশেষ পার্টি মেন্যু। ৪৭ পদের খাবার নিয়ে ইফতারের বিশেষ প্যাকেজের মধ্যে আছে পনির পাকোড়া, ফিশ ফিঙ্গার, ফিশ কাবাব, অ্যারাবিয়ান ফালাফিল ও গান্ধারি কাবাব। অ্যাম্ব্রোসিয়ার ব্যবস্থাপক কুতুব উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘খাবারের মান ভালো হওয়ায় বিভিন্ন অফিসে কর্মরত লোকজন নিয়মিত আমাদের ইফতারসামগ্রী কিনে নিয়ে যান।’ সমুচা, ফিশ ফিঙ্গার, হালিম, জিলাপি আর ফলসহ ১৬ পদ দিয়ে সাজানো সেট বক্স-১-এর দাম পড়বে ৩৩৩ টাকা। সমানসংখ্যক পদের সেট বক্স-২-এর দাম রাখা হয়েছে ৩৬৬ টাকা। স্প্রিং রোল, পাটিসাপটা পিঠা, তন্দুরি চিকেনসহ ১৯ পদের খাবার নিয়ে সাজানো সেট বক্স-৩-এর দাম ৩৯৯ টাকা। রোজাদারদের জন্য অ্যাম্ব্রোসিয়ায় আছে তিন ধরনের পার্টি মেন্যু। শরবত, লাচ্ছি, ফল, তন্দুরি চিকেন, জিলাপি, ফিরনি, হালিম ও পাটিসাপটা পিঠাসহযোগে ইফতার করলে একজনের খরচ পড়বে ৪৬৬ টাকা। মুরগি বা গরুর মাংস ভুনাসহ ২০ পদের মেন্যুর জন্য খরচ পড়বে ৫৬৬ টাকা। ভেজিটেবল দোপেয়াজা, বিফ আচারিসহ ২২ পদের দাম পড়বে ৬৬৬ টাকা। এ ছাড়া সপ্তাহের সাত দিন রয়েছে ইফতারসহযোগে ব্যুফে ডিনার করার ব্যবস্থা। প্রতিদিন এই আয়োজনে থাকছে ৩৬ পদের খাবার। দাম পড়বে ৬৯৯ টাকা।
4,151
আদর রহমান
entertainment
বিনোদন
১০ এপ্রিল ২০১৫, ০১:২৪
১০ এপ্রিল ২০১৫, ০১:২৭
আলাপন,বিনোদন
0
তারা তাদের সেরাটা দিয়েছে
http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/499612
আজ মুক্তি পাচ্ছে শিহাব শাহীন পরিচালিত পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ছুঁয়ে দিলে মন। গতকাল ছিল এর উদ্বোধনী প্রদর্শনী। এই ছবির মধ্য দিয়ে ধ্বনি-চিত্র পুরোদস্তুর বাণিজ্যিক চলচ্চিত্রের প্রযোজনায় যুক্ত হলো। এই ছবির নানা দিক নিয়ে কথা বলেছেন সারা যাকেরপ্রদর্শনীর আমন্ত্রণপত্রে গোটা অক্ষরে লেখা ছিল ‘প্রযোজক: সারা যাকের’...হ্যাঁ। প্রযোজক হিসেবে আমার নাম লেখা হলেও পুরো কাজটার সঙ্গে আরও অনেকের সম্পৃক্ততা আর পরিশ্রম জড়িয়ে আছে। শুধু এশিয়াটিক বা ধ্বনি-চিত্রেরই নয়, ছবির পরিচালক শিহাব শাহীনের প্রতিষ্ঠান মনফড়িংও আছে আমাদের সঙ্গে। সবার উদ্দেশ্য ছিল একটাই—এমন একটা ছবি বানাতে চাই, যা দেখার জন্য সবাই আবার সিনেমা হলে ফিরে আসবে। আশা করছি, আমরা এমনই একটি ছবি বানাতে পেরেছি। প্রযোজক বলে বলছি না, শিহাব শাহীন সত্যিই খুব ভালো কাজ করেছেন। মম ও শুভ তাদের সেরাটা দিয়েছে। আর ইরেশের কথা কী বলব। সে তো এক অদ্ভুত হেয়ারস্টাইল নিয়ে এই ছবিতে অভিনয় করেছে।মঞ্চের কাজে আপনি আবার ব্যস্ত হয়েছেনমঞ্চে সবশেষ কাজ করলাম ঊষা গাঙ্গুলির নির্দেশনায় নাগরিক নাট্যসম্প্রদায়ের নামগোত্রহীন নাটকে। মঞ্চে কাজ করতে তো ভালো লাগে সব সময়ই। তবে মাঝে একটু অনিয়মিত হয়ে পড়েছিলাম। এখন আবারও পুরোদমে মঞ্চের কাজ গোছাচ্ছি। এ বছরই আমার নির্দেশনায় নতুন একটি নাটক আনব মঞ্চে। এতে অভিনয়ও করব। এ বছরই দর্শকেরা নতুন করে মঞ্চে পাবেন আমাকে।আপনি রেডিওতেও অনুষ্ঠান করছেনরেডিও স্বাধীনে প্রতি সোমবার ‘তুমি বলো আমরা শুনছি’ নামে একটি অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করছি। এতে আমরা কথা বলি কিশোর-কিশোরীসহ বিভিন্ন বয়সের মানুষের মনস্তাত্ত্বিক ও নানান সংবেদনশীল বিষয় নিয়ে, যা অনেকেই পরিবার কিংবা বন্ধুদের সঙ্গে আলাপ করতে চায় না। একটা সময় টেলিভিশনেও এ ধরনের একটা অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করতাম। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, টিভির চেয়ে রেডিওতে মানুষ তাদের একান্ত কথাগুলো আরও খোলামেলাভাবে প্রকাশ করতে পারে।টেলিভিশন নাটকে আপনাকে খুব কম দেখা যায়...মঞ্চ কিংবা চলচ্চিত্রের কাজগুলোতে সময় নিয়ে একান্ত নিজের জন্য কিছু করার থাকে। টিভি নাটকে তেমন সুযোগ এখন খুব কম। তবে টেলিভিশন নাটকে কোনো না কোনোভাবে অভিনয় করা হয়েই যায়।
130,254
অনলাইন ডেস্ক
economy
অর্থনীতি
১৫ আগস্ট ২০১৬, ১২:৩৭
১৫ আগস্ট ২০১৬, ১২:৩৮
বিদেশের খবর
0
জাপানে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি থমকে আছে
http://www.prothom-alo.com/economy/article/946969
জাপানে ব্যাপক ব্যয়নীতির পদক্ষেপ নেওয়া সত্ত্বেও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির গতি থমকে আছে। দ্বিতীয় প্রান্তিকে, অর্থাৎ এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত সময়ে দেশটিতে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির বেড়েছে বার্ষিক শূন্য দশমিক ২ শতাংশ হারে, যা এর আগে শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ হবে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল। প্রথম প্রান্তিকে দেশটির অর্থনীতি সম্প্রসারিত হয়েছিল প্রায় ২ শতাংশ হারে। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ হয়েছে।সম্প্রতি অর্থনৈতিক গতি ত্বরান্বিত করতে ২৮ ট্রিলিয়ন ইয়েনের প্রণোদনা প্যাকেজ হাতে নিয়েছে এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহৎ অর্থনীতির এ দেশের সরকার। ভোক্তা ব্যয় বাড়াতে প্রায় ঋণাত্মক সুদের হার নির্ধারণ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তারপরও অর্থনৈতিক গতি তেমন লক্ষ করা যাচ্ছে না দেশটিতে।এ সংবাদের পর পুঁজিবাজারে নেতিবাচক প্রভাব লক্ষ করা যায়। লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক নিকেই কমে যায় শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ।তবে বিশ্লেষকেরা বলছেন, অর্থনৈতিক অবস্থা আরও খারাপ হতে পারত। যে হারে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কমেছে, তা আশঙ্কার নয়। দেশীয় চাহিদা, মূলধন ব্যয় এবং নেট রপ্তানি কমলেও ভালো খবর হলো জাপানি মুদ্রা শক্তিশালী হওয়া। এখন দেখা যাক, চলতি বছর প্রবৃদ্ধি ঠিক রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক আর কী কী পদক্ষেপ নেয়।
249,889
তারেক মাহমুদ
sports
খেলা
১৯ মার্চ ২০১৬, ২০:৩৩
১৯ মার্চ ২০১৬, ২১:০১
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট,টি ২০ বিশ্বকাপ ২০১৬
null
তাসকিন-সানির টি-​টোয়েন্টি বিশ্ব​কাপ শেষ
http://www.prothom-alo.com/sports/article/803638
আরাফাত সানির বোলিং অ্যাকশনে ত্রুটি থাকতে পারে, তা অনুমিতই ছিল। কিন্তু বিস্ময়কর হলেও সত্যি—তাসকিন আহমেদের বোলিং অ্যাকশনও নাকি অবৈধ! আজ দুপুরে আইসিসি থেকে এই দুঃসংবাদই জানানো হয়েছে বিসিবিকে। এর কিছু সময় আগে সানির বোলিং অ্যাকশন অবৈধ বলে জানায় আইসিসি।বিসিবির একাধিক সূত্র বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছে। পরে আইসিসির ওয়েবসাইটেও তা আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়েছে।বিশ্বকাপের প্রথম পর্বে হল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে আরাফাত সানির সঙ্গে তাসকিনের অ্যাকশন নিয়েও সন্দেহ তোলেন আম্পায়াররা। পরে গত ১২ মার্চ স্পিন কোচ রুয়ান কালপাগের সঙ্গে সানি ও ১৫ মার্চ পেস বোলিং কোচ হিথ স্ট্রিকের সঙ্গে তাসকিন চেন্নাইয়ে গিয়ে বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষা দেন। আজ সেগুলোরই চূড়ান্ত রিপোর্ট এসেছে।বোলিং অ্যাকশন অবৈধ প্রমাণিত হওয়ার পর বাংলাদেশ দলের এই দুই বোলারের জন্যই শেষ হয়ে গেল এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। অ্যাকশন শুদ্ধ প্রমাণিত হওয়ার আগ পর্যন্ত বোলিং করতে পারবেন না তাঁরা। আইসিসির সদস্য দেশগুলোর ঘরোয়া ক্রিকেটেও এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকবে। তবে বিসিবি চাইলে পুনর্বাসন–প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে তাদের বোলিংয়ের সুযোগ দিতে পারে।বাঁহাতি স্পিনার আরাফাত সানির বোলিং অ্যাকশনকেও আজ সকালেই অবৈধ বলে জানিয়েছে আইসিসি। তাঁর বিকল্প মোটামুটি ঠিক করাই ছিল। সানির জায়গা নিতে আজ রাতেই বেঙ্গালুরু যাচ্ছেন আরেক বাঁহাতি স্পিনার সাকলাইন সজীব। রাজশাহী থেকে ইতিমধ্যেই ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন তিনি। বিসিবির নির্বাচক কমিটির সদস্য হাবিবুল বাশার মুঠোফোনে বলেছেন, ‘টিম ম্যানেজমেন্ট থেকে আমাদের জানানো হয়েছে আরাফাত সানির বোলিং অ্যাকশনে ত্রুটি ধরা পড়েছে। তার বিকল্প পাঠাতে হবে। আমরা সাকলাইন সজীবকে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’তাসকিনের বিকল্প কে, সেটা এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ঠিক হয়নি। প্রধান নির্বাচক ফারুক আহমেদ বর্তমানে দেশের বাইরে আছেন বলে এ ব্যাপারে তাঁর বক্তব্য জানা যায়নি। তবে একটি সূত্র জানিয়েছে, হাবিবুল ও আরেক নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীনের মধ্যে এ নিয়ে আলোচনা চলছে। তবে এটা মোটামুটি নিশ্চিত—চারজনের স্ট্যান্ডবাই তালিকা থেকেই পাঠানো হবে তাসকিনের বিকল্প খেলোয়াড়। সেটা যেকোনো পেসারই হবেন তা নয়, হতে পারেন একজন ব্যাটসম্যান কিংবা স্পিনারও।আইসিসির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সানির বেশির ভাগ বলেই কনুই ১৫ ডিগ্রির বেশি বাঁকা হয়ে যায়। তবে তাসকিনের সব বলে সমস্যাটা হয় না। কিছু কিছু ডেলিভারিতে হয়। নিয়ম অনুযায়ী তাসকিন-সানিকে এখন বিসিবির অধীনে বোলিং অ্যাকশন শুদ্ধ করার কাজ করে আবারও পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হবে। এসব ক্ষেত্রে সাধারণত নির্দিষ্ট কোনো সময়সীমা থাকে না। বোলিং অ্যাকশন শুদ্ধ করে কখন পরীক্ষা দেওয়া যাবে, সে সিদ্ধান্ত নেবেন সানি-তাসকিন ও তাঁদের কোচরাই।
212,026
-1
sports
খেলা
০১ মার্চ ২০১৭, ০২:২৭
২৫ এপ্রিল ২০১৮, ১০:১৪
খেলা,আন্তর্জাতিক ফুটবল,জার্মানি
0
কোথায় হারালেন গোটশে!
http://www.prothom-alo.com/sports/article/1093900
‘যাও, পুরো বিশ্বকে দেখিয়ে দাও তুমি মেসির চেয়েও ভালো।’মারিও গোটশের কাছে কথাগুলোকে কি এখন দূর অতীতের স্মৃতি মনে হয়?২০১৪ বিশ্বকাপ ফাইনালের অতিরিক্ত সময়ে মাঠে নামার সময় তাঁকে কথাগুলো বলেছিলেন জার্মানি কোচ জোয়াকিম লো। মাঠে নেমে ঠিক তা-ই করেছিলেন সেই সময় ২১ বছর বয়সী গোটশে, মেসি ও তাঁর আর্জেন্টিনাকে দর্শক বানিয়ে দিয়ে দুর্দান্ত গোল করে জার্মানিকে জেতান বিশ্বকাপ!‘ফাস্ট ফরোয়ার্ড’ করে তিন বছর পর বর্তমানে আসুন, জার্মান মিডফিল্ডার প্রায় বিস্মৃত। ফর্মের সঙ্গে লড়াইয়েই কুলিয়ে উঠছেন না, তার মধ্যে বারবার হানা দিচ্ছে বেয়াড়া চোট! পায়ের চোট নিয়ে গত এক মাস ছিলেন মাঠের বাইরে। এখন শোনা যাচ্ছে, পরিপাকতন্ত্রের জটিলতায় মাঠের বাইরে থাকতে হবে আরও কিছুদিন। কত দিন, সেটি ডর্টমুন্ডও নিশ্চিত করতে পারেনি।চোট আর ফর্মের সঙ্গে লড়াই তাঁর জন্য নতুন নয়। বায়ার্ন মিউনিখে তিন বছরের দুঃস্মৃতির অধ্যায়ে শেষ টেনে দিয়ে এই মৌসুমে ফিরেছেন শৈশবের ক্লাব বরুসিয়া ডর্টমুন্ডে। কিন্তু যেখান থেকে সবকিছুর শুরু, সেখানে এসেও ভাগ্য আর হাসছে না। ২০১৪ সালে বিশ্বসেরার খেতাব নিয়ে মেসির সঙ্গে লড়াই হতো, এখন সেখানে রয়েস-ডেমবেলে-পিউলিসিচদের সঙ্গে লড়ছেন ডর্টমুন্ড একাদশে জায়গা পেতে। তাতে হারই বেশি। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ডর্টমুন্ডের জার্সিতে ১৬ ম্যাচ খেলেছেন, গোল মাত্র দুটি!কদিন আগে গোটশেকে নিয়ে নিজের হতাশা জানান জার্মান কিংবদন্তি লোথার ম্যাথাউসও, ‘সত্যি বলতে, একটু জঘন্য শোনাবে, তবে ও যদি ডর্টমুন্ডে ঠিকমতো গুছিয়ে উঠতে না পারে, তাহলে ওকে চীনে যেতে হতে পারে! (ডর্টমুন্ডের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী) শালকেতে ও যেতে পারবে না, লেভারকুসেনে ও মানিয়ে নিতে পারবে না, আর মনশেনগ্লাডবাখ ওর দাম দিতে পারবে না। বিদেশি বড় ক্লাবগুলোরও ইচ্ছা-তালিকায়ও ও আর নেই। নিজেকে বদলাতেই হবে ওর।’তবে ডর্টমুন্ড এখনো গোটশের পাশেই আছে। ক্লাবের প্রধান নির্বাহী হান্স-জোয়াকিম ওয়াসকে অন্তত গোটশের ফর্ম হারানোর কারণ খুঁজে পেয়েই খুশি, ‘মারিওর কোথায় সমস্যা হচ্ছে, সেটি তো জেনেছি। আমাদের পুরো বিশ্বাস আছে, ও চোট কাটিয়ে ফিরে নিজের অবিশ্বাস্য দক্ষতা দিয়ে আমাদের বাড়তি সুবিধা এনে দেবে।’সত্যিই কি আগের সেই দুর্দান্ত ফর্মে ফিরতে পারবেন গোটশে? এএফপি।
298,245
এএফপি
bangladesh
বাংলাদেশ
২২ নভেম্বর ২০১৭, ০৩:০০
২২ নভেম্বর ২০১৭, ০৩:০০
জাতিসংঘ
null
জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের বিশেষ বৈঠক ডাকার আহ্বান
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1370811
রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আলোচনার জন্য জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের বিশেষ বৈঠকের দাবি জানিয়েছে মানবাধিকার সংগঠনগুলো। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ও ৩৪টি মানবাধিকার সংগঠন গত সোমবার এক খোলা চিঠিতে এই দাবি জানায়।খোলা চিঠিতে সংগঠনগুলো বলে, ‘মিয়ানমারে অধোগামী মানবাধিকার পরিস্থিতির বিষয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের বিশেষ বৈঠক আহ্বানের ব্যাপারে আমাদের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব এ ধরনের বৈঠক অনুষ্ঠানের জন্য মানবাধিকার কাউন্সিলের প্রতিনিধিদের সমর্থন দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’চিঠিতে আরও বলা হয়, ‘মানবাধিকারের গুরুতর লঙ্ঘনের খবরগুলোর পরিপ্রেক্ষিতে আমরা বিশ্বাস করি যে দৃঢ় পদক্ষেপ নিতে এবং পরিস্থিতির গভীর আন্তর্জাতিক তদন্ত ও পর্যবেক্ষণের জন্য একটি বিশেষ বৈঠক অত্যন্ত জরুরি।’মানবাধিকার সংগঠনগুলো খোলা চিঠিতে বলে, রোহিঙ্গা ইস্যুতে মানবাধিকার কাউন্সিলের একটি প্রস্তাব গ্রহণ করা উচিত, যাতে মিয়ানমার সরকারের প্রতি ‘মানবাধিকার লঙ্ঘন, মানবতাবিরোধী অপরাধ’ তাৎক্ষণিক বন্ধের আহ্বান জানানো হবে। সেই সঙ্গে মানবাধিকার সংগঠনগুলোকে ‘দেশটির সব জায়গায় পুরোপুরি ও অবাধ প্রবেশ ও যাতায়াতের করতে দেওয়ারও’ আহ্বান জানানো হবে।জাতিসংঘের ৪৭ সদস্যের মানবাধিকার কাউন্সিল সচরাচর বিশেষ বৈঠক ডাকে না। ২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠার পর এ পর্যন্ত এই কাউন্সিল ২৬টি বৈঠক করেছে। এক-তৃতীয়াংশ অথবা কমপক্ষে ১৬টি সদস্যরাষ্ট্রের আহ্বানে বিশেষ বৈঠক ডাকে মানবাধিকার কাউন্সিল।এর আগে চলতি মাসেই চীনের বিরোধিতার কারণে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সহিংসতা বন্ধে প্রস্তাব গ্রহণের পরিকল্পনা থেকে সরে আসে। গত আগস্ট মাসে রাখাইনে সন্ত্রাস দমনের নামে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী অভিযান শুরু করে। এই পরিপ্রেক্ষিতে প্রাণ বাঁচাতে ছয় লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছে। মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযানের সময় হত্যা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগের অভিযোগ রয়েছে।রোহিঙ্গারা ‘জাতিবিদ্বেষের’ শিকারমিয়ানমারে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী ‘জাতিবিদ্বেষের’ শিকার বলে মন্তব্য করেছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে মানবাধিকার সংগঠনটি এই মন্তব্য করে।দুই বছর গবেষণার পর ওই এক শ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হলো। এতে বলা হয়, ‘রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায়’ রোহিঙ্গাদের জীবন বস্তুত সীমিত করে দেওয়া হয়েছে। বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশে এর মাধ্যমে তাদের আবদ্ধ করে রাখা হয়েছে।অ্যামনেস্টির গবেষণাবিষয়ক জ্যেষ্ঠ পরিচালক আনা নেইস্ট্যাট বলেন, রাখাইন রাজ্যে তিন মাস ধরে সেনাবাহিনী যে সহিংসতা চালিয়েছে, তারও বহু আগে থেকে এ রাজ্যে অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ জাতিবিদ্বেষের একটি অমানবিক ব্যবস্থার মাধ্যমে রোহিঙ্গা নারী, পুরুষ ও শিশুদের বিচ্ছিন্ন ও ভীতিকর পরিস্থিতির মধ্যে রাখছে।’আনা নেইস্ট্যাট বলেন, জরুরি ভিত্তিতে রোহিঙ্গাদের নাগরিক অধিকার নিশ্চিতকরণ এবং মিয়ানমারের বৈষম্যমূলক নাগরিক আইন বাতিল প্রয়োজন।
345,569
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
১৬ অক্টোবর ২০১৪, ০১:৫৪
১৬ অক্টোবর ২০১৪, ০১:৫৫
চুয়াডাঙ্গা,খুলনা বিভাগ,বিশাল বাংলা
0
সীমান্তবাসীর সঙ্গে মতবিনিময়
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/344926
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা সীমান্তে মানুষ হত্যা, চোরাচালান, মাদক এবং নারী ও শিশু পাচার প্রতিরোধে এলাকাবাসীর সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ৬ ব্যাটালিয়ন। গতকাল বুধবার দুপুরে কার্পাসডাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন বিজিবি ৬ ব্যাটালিয়নের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এস এম মনিরুজ্জামান। প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বিজিবি কুষ্টিয়া সেক্টর কমান্ডার কর্নেল জাবেদ সুলতান। বিজিবি কর্মকর্তারা বলেন, সীমান্তরক্ষীদের একার পক্ষে সীমান্তে অপরাধ দমন করা সম্ভব নয়। এ জন্য সীমান্তবর্তী গ্রামবাসীকে সহযোগিতার জন্য এগিয়ে আসতে হবে।
100,965
সুজন ঘোষ
bangladesh
বাংলাদেশ
০৩ অক্টোবর ২০১৩, ০১:৪৮
০৩ অক্টোবর ২০১৩, ০১:৪৯
আমার চট্টগ্রাম
null
অবশেষে খুলছে বহদ্দারহাট উড়ালসড়ক
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/52459
আর মাত্র আট দিন পরই খুলে দেওয়া হচ্ছে বহুল আলোচিত বহদ্দারহাট উড়ালসড়ক। এটির নির্মাণকাজ শেষ করার জন্য দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। এখন চলছে একেবারে শেষ পর্যায়ের টুকিটাকি কিছু নির্মাণকাজ। উড়ালসড়কটি চালু হলে বহদ্দারহাট এলাকা যানজটমুক্ত হবে এমন আশা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের। চউক চেয়ারম্যানের মতে ‘এটি হবে দক্ষিণ চট্টগ্রামের গেটওয়ে।’গত মঙ্গলবার সকালে সরেজমিনে দেখা গেছে, নির্মাণকাজ দ্রুত শেষ করার লক্ষ্যে শ্রমিকেরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। ইতিমধ্যে চার লেন উড়াল সড়কের ডিভাইডার স্থাপনের কাজ শেষ হয়েছে। দুই পাশের রেলিং নির্মাণও শেষের পথে। চলছে সড়কে কার্পেটিংয়ের কাজও।সংশ্রিষ্ট সূত্র জানায়, চট্টগ্রামবাসীর জন্য প্রথম এ উড়ালসড়ক ১২ অক্টোবর চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে। ওই দিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এটি উদ্বোধন করার কথা রয়েছে। উদ্বোধনের পর ডিসেম্বর পর্যন্ত সড়টির বাকি কিছু কাজ চলবে। তবে এতে যান চলাচলে কোনো সমস্যা হবে না বলে জানিয়েছেন প্রকল্পসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (চউক) নগরের শুলকবহর থেকে বহাদ্দারহাট এক কিলোমিটার এলাকা পর্যন্ত এ উড়ালসড়ক নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। ২০১০ সালের জানুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রী এটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। একই বছর ডিসেম্বরে নির্মাণকাজ শুরু হয়। কাজ শেষ হওয়ার সম্ভাব্য সময় ছিল এ বছর ফেব্রুয়ারি মাসে। কিন্তু গত বছরের নভেম্বরে গার্ডার ধসের ঘটনার কারণে নির্মাণকাজ প্রায় সাত মাস বন্ধ ছিল। ওই ঘটনায় ১৪ জন নিহত হন।এরপর নির্মাণকাজের তদারকির দায়িত্ব দেওয়া হয় সেনাবাহিনীকে। গত ফেব্রুয়ারিতে চউক ও সেনাবাহিনীর মধ্যে এ ব্যাপারে সমাঝোতা চুক্তি সই হয়। আগের নির্মাণাধীন কাজের গুণগত মান পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে প্রায় তিন মাস সময় লাগে। এরপর জুন মাসে নির্মাণকাজ পুনরায় শুরু হয়। চুক্তি অনুযায়ী উড়াল সড়কের সম্পূর্ণ কাজ আগামী ডিসেম্বরে শেষ হওয়ার কথা। বর্তমানে নির্মাণকাজ তদারক করছে সেনাবাহিনীর চট্টগ্রাম এসডব্লিউওর ১৭ ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন ব্যাটালিয়ন।প্রকল্পপরিচালক মেজর মো. হাসানুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, ‘১২ অক্টোবরের আগেই উড়াল সড়কটি যাতায়াতের উপযোগী করে তোলা হবে। এরপর কিছু কাজ বাকি থাকবে। তবে এতে যান চলাচলে কোনো সমস্যা হবে না।’ মেজর হাসানুজ্জামান জানান, দ্রুত কাজ শেষ করতে বর্তমানে এক হাজার ২০০ জন শ্রমিক দিনরাত কাজ করছেন। জুনে নির্মাণকাজ শুরুর সময় শ্রমিক ছিলেন ৩০০ জন। জুলাইয়ে যোগ দেন আরও ৪০০ শ্রমিক। নির্মাণকাজ তদারক করছেন সেনাবাহিনীর ৫০ জন প্রকৌশলী।সূত্র জানায়, আগের নকশায় কিছু ত্রুটি থাকায় বর্তমানে উড়াল সড়কের দৈর্ঘ্য এক দশমিক ৩৪ কিলোমিটার থেকে বেড়ে এক দশমিক ৩৯ কিলোমিটার হয়েছে। চার লেনের সড়কটির প্রস্থ ১৪ মিটার। এতে ২৫টি স্প্যান রয়েছে।এদিকে প্রকল্পব্যয় চার দফা বাড়ানো হয়েছে। প্রথম দফায় ব্যয় ছিল ৮৬ কোটি টাকা। এরপর আরও তিন দফায় ৫৯ কোটি ২১ লাখ বাড়ানো হয়। সর্বশেষ প্রকল্পব্যয় ধরা হয়েছে ১৪৫ কোটি টাকা। চউকের নিজস্ব তহবিল থেকে প্রকল্পের সম্পূর্ণ অর্থ খরচ করা হচ্ছে।চউকের চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম প্রথম আলোকে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সম্মতি পাওয়া গেলে ১২ অক্টোবর এ উড়ালসড়ক যাতায়াতের জন্য খুলে দেওয়া হবে। এটি চালু হলে দক্ষিণ চট্টগ্রামের সঙ্গে চট্টগ্রাম নগরের যাতায়াত ব্যবস্থা অনেক সহজ হবে। এটি হবে দক্ষিণ চট্টগ্রামের গেটওয়ে। পাশাপাশি নগরের এ অঞ্চল যানজটমুক্ত হবে।
21,453