_id
stringlengths
17
22
url
stringlengths
42
314
title
stringlengths
2
36
text
stringlengths
100
7.67k
score
float64
0.5
1
views
float64
23
18.1k
20231101.bn_1100_26
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9A%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%AE
চট্টগ্রাম
১৮৬০-এর দশকে, বেঙ্গল প্রেসিডেন্সিতে মার্কিন কনস্যুলেট-জেনারেল চট্টগ্রামে একটি কনস্যুলার এজেন্সি অন্তর্ভুক্ত করে। বর্তমানে, চট্টগ্রামে ভারতের একটি সহকারি হাইকমিশন এবং রাশিয়ার কনস্যুলেট জেনারেলের কার্যালয় রয়েছে। এছাড়াও শহরে তুরস্ক, জাপান, জার্মানি, দক্ষিণ কোরিয়া, মালয়েশিয়া, ইতালি এবং ফিলিপাইনের অনারারি কনস্যুলেট রয়েছে।
0.5
6,539.119501
20231101.bn_1100_27
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9A%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%AE
চট্টগ্রাম
বাংলাদেশের দক্ষিণপূর্বে ২০°৩৫’ থেকে ২২°৫৯’ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯১°২৭’থেকে ৯২°২২’ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ বরাবর এর অবস্থান। এটি পার্বত্য চট্টগ্রামের উপকূলীয় পাদদেশকে বিস্তৃত করে। কর্ণফুলী নদী চট্টগ্রাম শহর সহ ব্যবসায় জেলা দক্ষিণ তীর ধরে বয়ে চলেছে। নদীটি বঙ্গোপসাগরে পতিত হয়েছে এবং ১২ কিলোমিটার মোহনা পর্যন্ত চট্টগ্রাম মুল শহর বিস্তুৃত। চট্টগ্রামের উত্তরে সিলেট বিভাগ এবং ভারতের ত্রিপুরা ও মিজোরাম রাজ্য এবং মেঘনা নদী, দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর, পূর্বে ভারতের মিজোরাম রাজ্য, ত্রিপুরা ও মায়ানমার এবং পশ্চিমে মেঘনা নদী, ঢাকা ও বরিশাল বিভাগ। এছাড়াও চট্টগ্রামের পূর্বে পার্বত্য জেলাসমূহ এবং দক্ষিণে কক্সবাজার জেলা রয়েছে। চট্টগ্রাম শহর উত্তরে ফৌজদারহাট, দক্ষিণে কালুরঘাট এবং পূর্বে হাটহাজারী পর্যন্ত বিস্তৃত।
0.5
6,539.119501
20231101.bn_1100_28
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9A%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%AE
চট্টগ্রাম
বাটালি পাহাড় শহরের মধ্যকার সর্বোচ্চ স্থান, যার উচ্চতা । চট্টগ্রামে অনেক হ্রদ ও জলাধার রয়েছে যেগুলোর আনেকগুলি মুঘল শাসনামলে তৈরি হয়েছিল। ১৯২৪ সালে আসাম বেঙ্গল রেলওয়ের একটি প্রকৌশলী দল এখানে ফয়েজ লেক খনন করেছিল।
1
6,539.119501
20231101.bn_1100_29
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9A%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%AE
চট্টগ্রাম
চট্টগ্রাম তার সমৃদ্ধ জীববৈচিত্র্যের জন্য পরিচিত। বাংলাদেশের ৬,০০০টি ফুলের গাছের মধ্যে ২,০০০ টিরও বেশি এই অঞ্চলে জন্মে। এর পাহাড় এবং জঙ্গল জলপ্রপাত, দ্রুত প্রবাহিত নদীর স্রোত এবং হাতির ভাণ্ডারে ভরা। পূর্বে, বান্দরবান, রাঙ্গামাটি এবং খাগড়াছড়ি এই তিনটি পার্বত্য জেলার অবস্থান, যেখানে রয়েছে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ পর্বতমালা।
0.5
6,539.119501
20231101.bn_1100_30
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9A%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%AE
চট্টগ্রাম
দেশের অন্যান্য অঞ্চলের মত চট্টগ্রামেও ছয় ঋতু দেখা যায়। জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি এ অঞ্চলে শীতকাল, মার্চ, এপ্রিল, মে-তে গ্রীষ্মকাল দেখা যায়। জুন, জুলাই, আগস্ট পর্যন্ত বর্ষাকাল। তবে ইদানীং আবহাওয়ার কিছুটা পরিবর্তন দেখা যায়।
0.5
6,539.119501
20231101.bn_1100_31
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9A%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%AE
চট্টগ্রাম
চট্টগ্রাম উত্তর ভারত মহাসাগরের ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড়ের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। চট্টগ্রামে আঘাত হানা সবচেয়ে মারাত্মক ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড় ছিল ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়, যার ফলে প্রায় ১৩৮,০০০ জন নিহত এবং ১০ মিলিয়নের মতো গৃহহীন অবস্থার সম্মুখীন হয়েছিল।
0.5
6,539.119501
20231101.bn_1100_32
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9A%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%AE
চট্টগ্রাম
জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ এর তথ্যমতে, চট্টগ্রাম শহরের জনসংখ্যা ১ কোটি ১১ লক্ষ ৭৫ হাজার ২৬ জন এবং নারী ও পুরুষের সংখ্যা যথাক্রমে ৫৫ লক্ষ ৭৭ হাজার ১৬৮ জন ও ৫৫ লক্ষ ৯৬ হাজার ৮২১ জন। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের আওতাধিন এলাকার জনসংখ্যা ৩২ লক্ষ ২৭ হাজার ২৪৬ জন। যেখানে নারী ও পুরুষের সংখ্যা যথাক্রমে ১৫ লক্ষ ৫৩ হাজার ২৫২ জন ও ১৬ লক্ষ ৭৩ হাজার ৬২৭ জন।
0.5
6,539.119501
20231101.bn_64176_0
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AF%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%AF
যুক্তরাজ্য
যুক্তরাজ্য ( ইউনাইটেড্‌ কিংডম্‌) ইউরোপীয় মূল ভূখণ্ডের উত্তর-পশ্চিম উপকূলের সন্নিকটে অবস্থিত একটি স্বাধীন দ্বীপরাষ্ট্র। রাষ্ট্রটির সরকারি নাম গ্রেইট ব্রিটেন এবং উত্তর আয়ারল্যান্ডের যুক্তরাজ্য () এবং ব্রিটেন (Britain) নামেও পরিচিত। এই রাষ্ট্রটির চারটি সাংবিধানিক রাষ্ট্র: ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড, ওয়েল্‌স্‌ এবং উত্তর আয়ারল্যান্ড (যুক্তরাজ্য অধিকৃত আয়ারল্যান্ড)-এর সমন্বয়ে গঠিত।
0.5
6,497.365692
20231101.bn_64176_1
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AF%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%AF
যুক্তরাজ্য
যুক্তরাজ্য অনেকগুলো দ্বীপ নিয়ে গঠিত। দ্বীপগুলোকে একত্রে ব্রিটিশ দ্বীপপুঞ্জ নামে অভিহিত করা হয়। এদের মধ্যে সর্ববৃহৎ দ্বীপটির নাম বৃহৎ ব্রিটেন বা গ্রেট ব্রিটেন। গ্রেট ব্রিটেনের সবচেয়ে বড় ও জনবহুল ভাগটির নাম ইংল্যান্ড, যা দ্বীপের দক্ষিণ ও পূর্ব অংশ গঠন করেছে।
0.5
6,497.365692
20231101.bn_64176_2
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AF%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%AF
যুক্তরাজ্য
পশ্চিম অংশে আছে ওয়েলস এবং উত্তরে স্কটল্যান্ড। আয়ারল্যান্ড দ্বীপের উত্তর-পূর্ব প্রান্তে উত্তর আয়ারল্যান্ড (যুক্তরাজ্য অধিকৃত আয়ারল্যান্ড) অবস্থিত। আয়ারল্যান্ড দ্বীপ ব্রিটিশ দ্বীপপুঞ্জের ২য় বৃহত্তম দ্বীপ। এই দ্বীপের সিংহভাগ জুড়ে অবস্থিত আয়ারল্যান্ড প্রজাতন্ত্রের সাথে যুক্তরাজ্যের একমাত্র স্থল সীমান্ত রয়েছে। যুক্তরাজ্যের বাকী অংশকে আটলান্টিক মহাসাগর, উত্তর সাগর, ইংলিশ চ্যানেল এবং আইরিশ সাগর ঘিরে রেখেছে। গ্রেট ব্রিটেন দ্বীপটি চ্যানেল টানেলের মাধ্যমে ফ্রান্সের সাথে যুক্ত। এছাড়াও ব্রিটিশ সাম্রাজ্যকালীন সময়ে হস্তগত ১৪টি বহিঃস্থ এলাকা এখনও যুক্তরাজ্যের অধীনে রয়েছে।
0.5
6,497.365692
20231101.bn_64176_3
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AF%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%AF
যুক্তরাজ্য
ব্রিটেন একটি সাংবিধানিক প্রজাতন্ত্র। তৃতীয় চার্লস রাষ্ট্রপ্রধান। এখানে একটি সংসদীয় গণতন্ত্র ব্যবস্থা বিদ্যমান। লন্ডন শহর যুক্তরাজ্যের রাজধানী; এটি ইংল্যান্ডের দক্ষিণ-পূর্ব প্রান্তে অবস্থিত।
0.5
6,497.365692
20231101.bn_64176_4
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AF%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%AF
যুক্তরাজ্য
সমগ্র যুক্তরাজ্যকে ব্রিটেন নামেও ডাকা হয়। তবে গ্রেট ব্রিটেন নামটি আর সমগ্র দেশটিকে বোঝাতে ব্যবহার করা হয় না; এটি কেবল গ্রেট ব্রিটেন দ্বীপকে বোঝাতে ব্যবহার করা হয়।
1
6,497.365692
20231101.bn_64176_5
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AF%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%AF
যুক্তরাজ্য
ইংল্যান্ড দিয়েও সমগ্র যুক্তরাজ্যকে বোঝানো হয় না। ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড ও ওয়েলসের অধিবাসীরা সবাই ব্রিটিশ। আবার ইংল্যান্ডের অধিবাসীরা ইংরেজ, ওয়েলসের অধিবাসীরা ওয়েলশ, যুক্তরাজ্য অধিকৃত আয়ারল্যান্ডের অধিবাসীরা আইরিশ এবং স্কটল্যান্ডের অধিবাসীরা স্কটিশ হিসেবে পরিচিত।
0.5
6,497.365692
20231101.bn_64176_6
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AF%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%AF
যুক্তরাজ্য
দুইটি বিশ্বযুদ্ধের ক্ষয়ক্ষতি এবং বিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয়ার্ধে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের পতন বিশ্ব রাজনীতিতে যুক্তরাজ্যের নেতৃস্থানীয় ভূমিকা ক্ষুণ্ণ হয়। তা সত্ত্বেও বর্তমান বিশ্বে যুক্তরাজ্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক, সামরিক ও রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারকারী দেশ। যুক্তরাজ্য একটি উন্নত দেশ; এর অর্থনীতি বিশ্বের ৫ম বৃহত্তম। দেশটির নিউক্লীয় অস্ত্রক্ষমতা রয়েছে; প্রতিরক্ষা খাতে এর ব্যয় বিশ্বে ৩য় সর্বোচ্চ। এটি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য এবং জি-৮, ন্যাটো, এবং কমনওয়েলথ অব নেশন্সে‌র সদস্য।
0.5
6,497.365692
20231101.bn_64176_7
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AF%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%AF
যুক্তরাজ্য
ব্রিটিশ ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিশ্বের বহু জাতিকে প্রভাবিত করেছে। প্রতি বছর পার হবার সাথে সাথে ইংরেজি ভাষা শিক্ষিত মানুষদের একটি সত্যিকার বিশ্বভাষায় পরিণত হচ্ছে। মূলত বিগত তিন শতাব্দী ধরে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের বিস্তারের কারণেই ইংরেজি ভাষা বর্তমান বিস্তার লাভ করেছে।
0.5
6,497.365692
20231101.bn_64176_8
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AF%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%AF
যুক্তরাজ্য
বিংশ শতাব্দীর শুরুতে বিশ্বের এক চতুর্থাংশ এলাকা ও জনগণ কোনও না কোনও ভাবে ব্রিটিশদের নিয়ন্ত্রণে ছিল; ব্রিটিশ সাম্রাজ্য ছিল বিশ্বের ইতিহাসের বৃহত্তম সাম্রাজ্য।
0.5
6,497.365692
20231101.bn_13924_28
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B8%E0%A7%8C%E0%A6%B0%E0%A6%9C%E0%A6%97%E0%A7%8E
সৌরজগৎ
গ্রহাণু বেষ্টনীতে দশ-বিশ হাজার বস্তু আছে যেগুলোর ব্যাস এক কিলোমিটারের উপরে। এই সংখ্যা কয়েক মিলিয়নও হতে পারে। তারপরও সমগ্র গ্রহাণু বেষ্টনীর ভর পৃথিবীর ভরের হাজার ভাগের এক ভাগ থেকে সামান্য বেশি। বেষ্টনীতে গ্রহাণুগুলো খুব একটা ঘন সন্নিবেশিত নয়। পৃথিবী থেকে প্রেরিত নভোযানগুলো কোন রকমের দুর্ঘটনা ছাড়াই নিয়মিত এই বেষ্টনী অতিক্রম করে থাকে। যে গ্রহাণুগুলোর ব্যাস ১০ থেকে ১০৪ মিটারের মধ্যে সেগুলোকে উল্কা বলা হয়।
0.5
6,449.014901
20231101.bn_13924_29
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B8%E0%A7%8C%E0%A6%B0%E0%A6%9C%E0%A6%97%E0%A7%8E
সৌরজগৎ
সেরেসসেরেস গ্রহাণু বেষ্টনীর বৃহত্তম বস্তু। একে বামন গ্রহ শ্রেণীর মধ্যে ফেলা হয়েছে। সূর্য থেকে এর দূরত্ব ২.৭৭ এইউ এবং এর ব্যাস ১০০০ কিলোমিটার থেকে সামান্য কম। নিজস্ব অভিকর্ষের মাধ্যমে গোলকীয় আকৃতি লাভ করার জন্য এই ব্যাস যথেষ্টই বেশি। ঊনবিংশ শতকে যখন এটি আবিষ্কৃত হয় তখন সবাই গ্রহ বলে ধরে নিয়েছিল। কিন্তু আরও বিস্তারিত পর্যবেক্ষণের পর প্রতিবেশে অন্যান্য গ্রহাণু আবিষ্কৃত হওয়ায় ১৮৫০-এর দশকে গ্রহাণু হিসেবে চিহ্নিত হয়। আর ২০০৬ সালে এসে একে বামন গ্রহ হিসেবে পুনরায় শ্রেণীবদ্ধ করা হয়েছে।
0.5
6,449.014901
20231101.bn_13924_30
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B8%E0%A7%8C%E0%A6%B0%E0%A6%9C%E0%A6%97%E0%A7%8E
সৌরজগৎ
গ্রহাণু শ্রেণীকক্ষপথের বৈশিষ্ট্যের উপর ভিত্তি করে এই বেষ্টনীর গ্রহাণুগুলোকে গ্রহাণু শ্রেণী এবং পরিবারে বিভক্ত করা হয়। যে গ্রহাণুগুলো অপেক্ষাকৃত বড় গ্রহাণুকে কেন্দ্র করে আবর্তন করে সেগুলোকে গ্রহাণু চাঁদ বলা হয়। এই চাঁদগুলো অবশ্য মোটেই গ্রহীয় চাঁদের মত নয়। কোন কোন গ্রহাণু চাঁদ আকারে তার মাতৃ গ্রহাণুর প্রায় সমান। গ্রহাণু বেষ্টনীতে মূল-বেষ্টনী ধূমকেতুও থাকে। ধারণা করা হয়, এই ধূমকেতুগুলোই পৃথিবীতে পানির উৎস হিসেবে কাজ করেছিল।
0.5
6,449.014901
20231101.bn_13924_31
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B8%E0%A7%8C%E0%A6%B0%E0%A6%9C%E0%A6%97%E0%A7%8E
সৌরজগৎ
বৃহস্পতি গ্রহের এল৪ ও এল৫ বিন্দুগুলোর যেকোনটিতে ট্রোজান গ্রহাণুদের বাস। এই বিন্দুগুলো হল মহাকর্ষীয়ভাবে স্থিতিশীল অঞ্চল যারা কোন গ্রহের সামনে থেকে নেতৃত্ব দেয় বা কক্ষপথে গ্রহটিকে অনুসরণ করে চলে। অন্য যেকোন গ্রহ বা উপগ্রহের ল্যাগ্রেঞ্জ বিন্দুতে অবস্থিত ছোটখট বস্তু বোঝাতেও কখনও কখনও "ট্রোজান" শব্দটি ব্যবহৃত হয়। হিলডা গ্রহাণুসমূহ বৃহস্পতির সাথে ২:৩ রেজোন্যান্সে অবস্থান করছে। অর্থাৎ তারা বৃহস্পতিকে যে সময়ে ২ বার আবর্তন করে সে সময়ে সূর্যকে ৩ বার আবর্তন করে।
0.5
6,449.014901
20231101.bn_13924_32
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B8%E0%A7%8C%E0%A6%B0%E0%A6%9C%E0%A6%97%E0%A7%8E
সৌরজগৎ
এছাড়াও সৌরজগতের অভ্যন্তরভাগে প্রচুর রুজ গ্রহাণু আছে। এই গ্রহাণুর অনেকগুলোই অভ্যন্তরভাগের গ্রহগুলোর কক্ষপথকে অতিক্রম করে যায়।
1
6,449.014901
20231101.bn_13924_33
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B8%E0%A7%8C%E0%A6%B0%E0%A6%9C%E0%A6%97%E0%A7%8E
সৌরজগৎ
মধ্য সৌরজগতের প্রধান বস্তু হল বিশাল বিশাল সব গ্যাস দানব এবং তাদের ছোটোখাটো গ্রহ আকৃতির প্রাকৃতিক উপগ্রহ। অনেক স্বল্পকালীন ধূমকেতু যেমন সেন্টাউর ও এই অঞ্চলে অবস্থান করে। অঞ্চলটির কোন প্রথাগত নাম নেই। অনেক সময় অবশ্য বহিঃসৌরজগৎ নামে ডাকা হয়। কিন্তু অতি সাম্প্রতিক সময়ে বহিঃসৌরজগৎ বলতে নেপচুনের পরের অঞ্চলটিকে বোঝায়। মধ্য অঞ্চলে যে কঠিন বস্তুগুলো রয়েছে সেগুলো অভ্যন্তরভাগের মত পাথুরে বস্তু দ্বারা গঠিত নয়। এগুলোর মূল গাঠনিক উপাদান হল বরফ যা পানি, অ্যামোনিয়া বা মিথেন জমাট বেঁধে তৈরি হতে পারে।
0.5
6,449.014901
20231101.bn_13924_34
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B8%E0%A7%8C%E0%A6%B0%E0%A6%9C%E0%A6%97%E0%A7%8E
সৌরজগৎ
সৌরজগতের বাইরের দিকে অবস্থিত চারটি গ্রহকে গ্যাস দানব বলা হয়। মাঝেমাঝে এদেরকে জোভিয়ান গ্রহ নামেও ডাকতে দেখা যায়। সূর্যকে আবর্তনরত সকল বস্তুর সম্মিলিত ভরের শতকরা ৯৯ ভাগের জন্যই দায়ী এই বহিঃস্থ গ্রহগুলো। বৃহস্পতি ও শনি গ্রহের বায়ুমণ্ডলে প্রচুর পরিমাণ হাইড্রোজেন ও হিলিয়াম আছে। সেখানকার বায়ুমণ্ডল মূলত এই দুটি মৌল দিয়েই গঠিত। নেপচুন ও ইউরেনাসের বায়ুমণ্ডলে বরফের পরিমাণ অনেক বেশি। এই বরফও পানি অ্যামোনিয়া বা মিথেন জমাট বেঁধে সৃষ্টি হয়। অনেক জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের মতে এই গ্রহ দুটিকে সম্পূর্ণ নতুন একটি গ্রহ শ্রেণীতে ফেলা যায় যে শ্রেণীর নাম হবে "বরফ দানব"। চার দানবেরই নিজস্ব বলয় আছে। কিন্তু শুধু শনির বলয়ই পৃথিবী থেকে দেখা যায়। বহিঃস্থ গ্রহকে আবার উৎকৃষ্ট গ্রহের সাথে গুলিয়ে ফেলা ঠিক হবে না। পৃথিবীর কক্ষপথের বাইরে অবস্থিত গ্রহগুলোকেই উৎকৃষ্ট গ্রহ নামে ডাকা হয়।
0.5
6,449.014901
20231101.bn_13924_35
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B8%E0%A7%8C%E0%A6%B0%E0%A6%9C%E0%A6%97%E0%A7%8E
সৌরজগৎ
বৃহস্পতি বৃহস্পতি গ্রহের ভর পৃথিবীর ৩১৮ গুণ এবং সবগুলো বহিঃস্থ গ্রহের সম্মলিত ভরের তুলনায়ও সে ২.৫ গুণ ভারী। গ্রহটি মূলত হাইড্রোজেন ও হিলিয়াম দিয়ে গঠিত। তীব্র অভ্যন্তরীন তাপের কারণে এর বায়ুমণ্ডলে বেশ কিছু অর্ধ-স্থায়ী বৈশিষ্ট্যের সৃষ্টি হয় যার মধ্যে আছে মেঘের ব্যান্ড ও বিরাট লোহিত কলঙ্ক। আমাদের জানামতে এই গ্রহের ৬৭টি প্রাকৃতিক উপগ্রহ আছে। চারটি বড় বড় উপগ্রহ গ্যানিমেড, ক্যালিস্টো, আইও এবং ইউরোপা অনেকটা পার্থিব গ্রহগুলোর মত। কারণ এই উপগ্রহগুলোতে অগ্ন্যুৎপাত ও অভ্যন্তরীন তাপ বৃদ্ধির মত ভূতাত্ত্বিক ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ঘটে। সৌরজগতের বৃহত্তম উপগ্রহ গ্যানিমেডের আকার বুধ গ্রহ থেকেও বড়।
0.5
6,449.014901
20231101.bn_13924_36
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B8%E0%A7%8C%E0%A6%B0%E0%A6%9C%E0%A6%97%E0%A7%8E
সৌরজগৎ
শনি শনি গ্রহ দৃষ্টিনন্দন বলয়ের জন্য সবার কাছেই বেশ পরিচিত। বায়ুমণ্ডলের গঠনসহ বেশ কটি দিক দিয়ে এর সাথে বৃহস্পতির সাদৃশ্য আছে। অবশ্য শনি বৃহস্পতির মত অতো বড় না। এর ভর পৃথিবীর মাত্র ৯৫ গুণ। শনির ৬২টি জানা উপগ্রহের মধ্যে দুটিতে বর্তমানেও ভূতাত্ত্বিক ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া চলছে বলে ধারণা করা হয়। এছাড়া শনির আরও তিনটি উপগ্রহ আছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। টাইটান ও এনসেল্যাডাস উপগ্রহ দুটিতে ভূতাত্ত্বিক ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ঘটলেও সেগুলোর মূল গাঠনিক উপাদান আসলে বরফ। টাইটান বুধের চেয়ে বড় এবং এটি সৌরজগতের একমাত্র উপগ্রহ যাতে উল্লেখযোগ্য পুরুত্বের বায়ুমণ্ডল আছে।
0.5
6,449.014901
20231101.bn_16430_14
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%95
তুরস্ক
প্রথম বিশ্বযুদ্ধে পরাজয়ের পর অটোমান সাম্রাজ্যের পতন ঘটে। খণ্ডিত তুরুস্কের মূল ভূখণ্ডেই পরে গড়ে ওঠে আধুনিক তুরস্ক বা তুর্কিয়ে। এর পত্তন করেন মোস্তফা কামাল আতাতুর্ক। তাঁকে আধুনিক তুরস্কের জনক বলা হয়। এর ফলে পতন ঘটে ৬০০ বছরের উসমানীয় সাম্রাজ্যের। একই সাথে মুসলিম বিশ্ব থেকে বিলুপ্তি ঘটে খিলাফত ব্যবস্থার। কামাল আতাতুর্ক ক্ষমতা গ্রহণের পর তুরস্ককে একটি আধুনিক রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে ব্যাপক সংস্কার কর্মসূচি হাতে নেন। ১৯২৩ সালে তিনি তুরস্ককে একটি প্রজাতন্ত্র ঘোষণা করেন। তিনি হন প্রজাতন্ত্রের প্রথম প্রেসিডেন্ট।
0.5
6,438.027847
20231101.bn_16430_15
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%95
তুরস্ক
১৯৪৫ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি দেশটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে যোগ দেয়। মূলত উদ্ভূত কিছু পরিস্থিতি মোকাবেলায় এর কোনো বিকল্প ছিল না দেশটির সামনে। যুদ্ধের পর দেশটি জাতিসংঘ ও ন্যাটোতে যোগ দেয়। এ সময় থেকে তুরস্কে বহুদলীয় রাজনীতির প্রবর্তন হয়। ১৯৬০ থেকে ১৯৮০ সাল পর্যন্ত দেশটিতে রাজনৈতিক অস্থিরতা বিরাজ করে। ফলে ১৯৬০, ১৯৭১ ও ১৯৮০ সালে তুরস্কে সামরিক অভ্যুত্থান হতে দেখা যায়। দেশটিতে সর্বশেষ সামরিক অভ্যুত্থান চেষ্টা ঘটে ১৯৯৭ সালে। কিন্তু পরে আবার দেশটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফিরে আসে। কিন্তু ২০১৩-তে গাজি পার্কের বিক্ষোভ ও ২০১৫-তে সুরুক বোমা হামলা পুনরায় অস্থিরতার জন্ম দিয়েছিল। সর্বশেষ ২০১৬ সালে এক সামরিক অভ্যুত্থান ঘটানোর চেষ্টা করা হয় তবে শেষ পর্যন্ত তুর্কি জনগনের ব্যাপক প্রতিরোধের মুখে তা ব্যর্থ হয়। ২০১৮ সালে দেশটিতে রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকারব্যবস্থা কায়েম হয়। বর্তমানে দেশটিতে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকার রয়েছে।
0.5
6,438.027847
20231101.bn_16430_16
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%95
তুরস্ক
তুরস্কের রাজনীতি একটি বহুদলীয় রাষ্ট্রপতি-শাসিত গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কাঠামোয় সংঘটিত হয়। রাষ্ট্রের নির্বাহী ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির উপর ন্যস্ত। আইন প্রণয়নের ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির উপর ন্যাস্ত। তুরস্কে ৫৫০ আসনের একটি সংসদ আছে, যার সদস্যরা ৫ বছরের জন্য জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হন। ২০১৭ সালের গণভোটের পর থেকে রাষ্ট্রপতিও জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হচ্ছেন। রেজেপ তাইয়িপ এরদোয়ান দেশটির বর্তমান রাষ্ট্রপতি এবং ফুয়াত ওকতায় দেশটির বর্তমান উপ-রাষ্ট্রপতি। তুরস্কের সংবিধানের সর্বশেষ সংশোধনে ধর্মনিরপেক্ষতাকে জোর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
0.5
6,438.027847
20231101.bn_16430_17
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%95
তুরস্ক
প্রশাসনিক সুবিধার্থে তুরস্ককে ৮১টি প্রদেশে বিভক্ত করা হয়েছে। সব বিভাগ আবার সাতটি অঞ্চলে বিভক্ত। তবে এই সাতটি অঞ্চল কোনো প্রশাসনিক বিভাজন নয়। প্রতিটি প্রদেশ কয়েকটি করে জেলায় বিভক্ত। তুরস্কে মোট জেলা আছে ৯২৩টি। প্রতিটি প্রদেশের নামই সেই প্রদেশের রাজধানীর নাম। আর প্রতিটি প্রাদেশিক রাজধানী সংশ্লিষ্ট প্রদেশের কেন্দ্রীয় জেলা। সবচেয়ে বড় শহর ইস্তাম্বুল। এটি হচ্ছে তুরস্কের বাণিজ্যিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্রবিন্দু। তুর্কি জনগণের প্রায় ৭০ দশমিক ৫ শতাংশ লোক শহরে বসবাস করে।
0.5
6,438.027847
20231101.bn_16430_18
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%95
তুরস্ক
তুরস্ক দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়ার আনাতোলিয়া উপদ্বীপের সম্পূর্ণ অংশ এবং দক্ষিণ-পূর্ব ইউরোপের বলকান উপদ্বীপের দক্ষিণ প্রান্তের অংশবিশেষ নিয়ে গঠিত। ফলে ভৌগোলিকভাবে দেশটি একই সাথে ইউরোপ ও এশিয়ার অন্তর্ভুক্ত। আনাতোলীয় অংশটি তুরস্কের প্রায় ৯৭% আয়তন গঠন করেছে। এটি মূলত একটি পর্বতবেষ্টিত উচ্চ মালভূমি। আনাতোলিয়ার উপকূলীয় এলাকায় সমভূমি দেখতে পাওয়া যায়। তুরস্কের দক্ষিণ-ইউরোপীয় অংশটি ত্রাকিয়া নামে পরিচিত; এটি আয়তনে তুরস্কের মাত্র ৩% হলেও এখানে তুরস্কের ১০% জনগণ বাস করে। এখানেই তুরস্ক ও গোটা ইউরোপের সবচেয়ে জনবহুল শহর ইস্তানবুল অবস্থিত (জনসংখ্যা প্রায় ১ কোটি ১৩ লক্ষ)। ভূমধ্যসাগর ও কৃষ্ণ সাগরকে সংযুক্তকারী বসফরাস প্রণালী,মার্মারা সাগর ও দার্দানেলেস প্রণালী ত্রাকিয়া ও আনাতোলিয়াকে পৃথক করেছে।
1
6,438.027847
20231101.bn_16430_19
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%95
তুরস্ক
১৯২৩ সালে তুরস্ক প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পর দেশটিতে অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। পরবর্তী ছয় দশকব্যাপী অর্থাৎ ১৯৮৩ সাল পর্যন্ত সে উন্নয়ন প্রচেষ্টা একই ধারাবাহিকতায় চলতে থাকে। এরপর অধিকতর উন্নয়নের জন্য ১৯৮৩ সালে সংস্কার কর্মসূচি হাতে নেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী তুরগুত ওজাল। তিনি বেসরকারি খাতকে উৎসাহিত করেন এবং বাজার অর্থনীতির প্রসার ঘটান। এই সংস্কারের ফলে প্রবৃদ্ধি বাড়তে থাকে। কিন্তু অর্থনৈতিক মন্দার কারণে ১৯৯৪ সালে এই প্রবৃদ্ধি উল্লেখযোগ্য হারে কমে যায়। ১৯৯৯ সালে ভয়াবহ ভূমিকম্পের ফলে অর্থনীতিতে বড় ধরনের ধাক্কা লাগে। এসব সমস্যার কারণে ১৯৮১ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত গড় প্রবৃদ্ধির হার ছিল মাত্র ৪ শতাংশ। ২০০১ সালের সৃষ্ট অর্থনৈতিক সমস্যার পর নতুন করে সংস্কার কর্মসূচি শুরু করেন অর্থমন্ত্রী কামাল দারবিশ। তার সংস্কারের ফলে মুদ্রাস্ফীতি ও বেকারত্ব অনেক কমে যায়। তুরস্ক তার বাজার ধীরে ধীরে মুক্ত করতে শুরু করে। ২০০২ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত প্রবৃদ্ধির হার ছিল গড়ে ৭ দশমিক ৪ শতাংশ। ২০০৮ সালে দেশটির প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৫ দশমিক ৪ শতাংশ।
0.5
6,438.027847
20231101.bn_16430_20
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%95
তুরস্ক
২০০৯ সালে বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার ধাক্কা তুরস্কেও লাগে। দেশটির অর্থমন্ত্রী জানান, এ বছর ঘাটতি বাজেটের পরিমাণ হচ্ছে ২৩ দশমিক ২ বিলিয়ন তুর্কি লিরা। ২০০৭ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী তুরস্কে মোট জাতীয় আয়ের ৮ দশমিক ৯ শতাংশ আসে কৃষি থেকে, ৩০ দশমিক ৮ শতাংশ আসে শিল্পখাত থেকে এবং ৫৯ দশমিক ৩ শতাংশ আসে সেবাখাত থেকে। তুরস্কের পর্যটন শিল্প দেশটির অর্থনীতিতে বড় ধরনের অবদান রেখে চলছে। ২০০৮ সালে দেশটিতে পর্যটকের সংখ্যা ছিল তিন কোটি ৯ লাখ ২৯ হাজার ১৯২ জন। যাদের কাছ থেকে কর আদায় হয় দুই হাজার ১৯০ কোটি ডলার। এ ছাড়া তুর্কি অর্থনীতির অন্যান্য খাতের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ব্যাংকিং খাত, নির্মাণ খাত, গার্মেন্টস, বিদ্যুৎ, তেল, পরিশোধন, খাদ্য, লোহা, স্টিল, অটোমোটিভ ইত্যাদি। ২০১২ সালের হিসাব অনুযায়ী অটোমোটিভ তৈরির দিক থেকে তুরস্কের অবস্থান বিশ্বে ১৭তম। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মুদ্রাস্ফীতি ব্যাপকভাবে কমে এসেছে। ১৯৯৫ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাথে এক চুক্তি করে তুরস্ক। ২০০৭ সালে বিদেশী বিনিয়োগ থেকে তুরস্কের আয় হয়েছে দুই হাজার ১৯০ কোটি ডলার।
0.5
6,438.027847
20231101.bn_16430_21
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%95
তুরস্ক
জাতিসংঘের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য তুরস্ক। এ ছাড়া ওইসিডি, ওআইসি, ওএসসিই, ইসিও, বিএসইসি, ডি৮, জি২০ ইত্যাদি সংগঠনের সদস্য তুরস্ক। ২০০৮ সালের ১৭ অক্টোবর তুরস্ক ১৫১টি দেশের সমর্থন পেয়ে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য নির্বাচিত হয়। তার এ সদস্যপদ ২০০৯ সালের ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হয়। এর আগেও তুরস্ক জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য ছিল ১৯৫১-১৯৫২, ১৯৫৪-১৯৫৫ এবং ১৯৬১ সালে। পশ্চিমাদের সাথে সম্পর্ক, বিশেষ করে ইউরোপের সাথে সম্পর্ক বজায় রাখাই তুরস্কের পররাষ্ট্রনীতির মূল কাজ। কাউন্সিল অব ইউরোপের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য তুরস্ক। দেশটি ১৯৫৯ সালে ইইসি’র সদস্য হওয়ার জন্য আবেদন করে এবং ১৯৬৩ সালে দেশটি সংস্থাটির সহযোগী সদস্যের মর্যাদা পায়। ১৯৮৭ সালে তুরস্ক ইইসি’র পূর্ণ সদস্যপদ পাওয়ার জন্য আবেদন করে। ১৯৯২ সালে ওয়েস্টার্ন ইউরোপীয় ইউনিয়ন এর সহযোগী সদস্যপদ লাভ করে। দেশটি ইইউ’র পূর্ণ সদস্যপদ লাভের জন্য ১৯৯৫ সালে একটি চুক্তি করে। এ চুক্তি অনুসারে ২০০৫ সালের ৩ অক্টোবর সমঝোতা শুরু হয়। তবে সে সমঝোতা এখনো শেষ হয়নি। ধারণা করা হচ্ছে গ্রিক-সাইপ্রাসকে কেন্দ্র করে ইউরোপের অন্যান্য দেশের সাথে তুরস্কের যে বিরোধ তা শেষ না হওয়া পর্যন্ত সমঝোতা চলতেই থাকবে।
0.5
6,438.027847
20231101.bn_16430_22
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%95
তুরস্ক
এ ছাড়া তুর্কি পররাষ্ট্রনীতির আরেকটি বৈশিষ্ট্য হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সম্পর্ক। এখানে উভয় দেশেরই অভিন্ন স্বার্থ রয়েছে। আর তা হলো সোভিয়েত আগ্রাসন মোকাবেলা। আর সে লক্ষ্যে তুরস্ক ১৯৫২ সালে ন্যাটোতে যোগ দেয়। এর মাধ্যমে দেশটি ওয়াশিংটনের সাথে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক গড়ে তুলে। স্নায়ুযুদ্ধের পর তুরস্ক মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতিতে নিজেকে জড়িয়ে ফেলে। ইরাক ও সিরিয়া সীমান্তের কাছে তুরস্কে ন্যাটোর বিমান ঘাঁটি রয়েছে। ওআইসির সদস্য হওয়ার পরও ইসরাইলের সাথে তুরস্কের ভালো সম্পর্ক রয়েছে, তবে ক্ষমতাসীন জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টির অধীনে সাম্প্রতিক সময়ে দেশ দুটির সম্পর্ক স্থিতিশীল। ১৯৮০ সালের পর তুরস্ক পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সাথে অর্থনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। বিশেষ করে জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার সাথে বড় ধরনের লেনদেনে জড়ায় দেশটি। আর এসব ক্ষেত্রেই যুক্তরাষ্ট্রের বিশাল সমর্থন পেয়েছে তুরস্ক।
0.5
6,438.027847
20231101.bn_1109_58
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%87%E0%A6%89%E0%A6%B0%E0%A7%8B%E0%A6%AA
ইউরোপ
ইউরোপের ভূতত্ত্ব অতিশয় বৈচিত্রময় এবং জটিল, স্কটিয় উচ্চভূমি থেকে হাঙ্গেরির ঢালাই সমভূমি পর্যন্ত মহাদেশ জুড়ে বিভিন্ন ভূদৃশ্য দেখতে পাওয়া যায়।
0.5
6,331.663075
20231101.bn_1109_59
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%87%E0%A6%89%E0%A6%B0%E0%A7%8B%E0%A6%AA
ইউরোপ
ইউরোপের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য উচ্চভূমি ও পার্বত্য দক্ষিণ ইউরোপ এবং পূর্বে ইউরাল পর্বতমালা থেকে পশ্চিমে একটি সুবিশাল, আংশিকভাবে সমুদ্রগর্ভপথে, উত্তর সমতল আয়ারল্যান্ডের মধ্যে বৈপরীত্য। এই দুই অংশ পিরেনে পর্বত চেইন এবং আল্পস/কার্পেথীয় দ্বারা বিভক্ত। উত্তর সমতল স্ক্যানডিনেভীয় পর্বতমালা এবং ব্রিটিশ দ্বীপপুঞ্জের পর্বতময় অংশ দ্বারা পশ্চিমে চিহ্নিত করা হয়। উত্তর সমতলের প্রধান অগভীর জলাশয় হলো, কেল্টীয় সাগর, উত্তর সাগর, বাল্টিক সাগর এবং বারেন্ট সাগর।
0.5
6,331.663075
20231101.bn_1109_60
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%87%E0%A6%89%E0%A6%B0%E0%A7%8B%E0%A6%AA
ইউরোপ
উত্তর সমতলে পুরোনো ভূতাত্ত্বিক বালটিকা মহাদেশ রয়েছে, এবং তাই ভূতাত্ত্বিকভাবে "প্রধান মহাদেশ" হিসাবে গণ্য করা যেতে পারে, অন্যদিকে দক্ষিণ ও পশ্চিমে পেরিফেরাল উচ্চ ভূমি ও পার্বত্য অঞ্চল অন্যান্য বিভিন্ন ভূতাত্ত্বিক মহাদেশ থেকে খন্ডাংশ গঠন করে। পশ্চিম ইউরোপের বেশিরভাগ পুরোনো ভূতত্ত্ব সবচেয়ে প্রাচীন ক্ষুদ্র মহাদেশ আভালোনিয়ার অংশ হিসেবে ছিল।
0.5
6,331.663075
20231101.bn_1109_61
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%87%E0%A6%89%E0%A6%B0%E0%A7%8B%E0%A6%AA
ইউরোপ
প্রায় ২.২৫ বিলিয়ন বছর আগে, বাল্টিক শিল্ড (ফেনোস্ক্যান্ডিয়া) এবং সারমাতিয়ান ক্রাটন গঠনে ইউরোপের ভূতাত্ত্বিক ইতিহাস খুঁজে পাওয়া যায়। এর পর ভলগো-ইউরালিয়া শিল্ড, এই তিনটি একসঙ্গে পূর্ব ইউরোপীয় ক্রাটন (≈ বালটিকা) গঠন করে, যা অতিবিশাল মহাদেশ কলাম্বিয়ার একটি অংশ হয়ে ওঠে। প্রায় ১.১ বিলিয়ন বছর আগে, বালটিকা এবং আর্কটিকা (লাওরেন্টিয়া ব্লকের অংশ হিসেবে) রডিনিয়ায় যোগদান করে, পরে পুনঃবিভক্ত হয়ে প্রায় ৫৫০ মিলিয়ন বছর আগে সংস্কার হয়ে বালটিকা রূপ ধারণ করে। প্রায় ৪৪০ মিলিয়ন বছর আগে, বালটিকা এবং লাওরেন্টিয়া থেকে ইউরামেরিকা গঠিত হয়; তারপরে গন্ডোয়ানা যুক্ত হয়ে পাঞ্জিয়া গঠন করে। প্রায় ১৯০ মিলিয়ন বছর আগে, গন্ডোয়ানা এবং লাওরাশিয়া আটলান্টিক মহাসাগরের প্রসারের কারণে বিভক্ত হয়। অবশেষে, এবং পরবর্তিতে খুব শীঘ্রই, লাওরাশিয়া নিজেই আবার লাওরেন্টিয়া (উত্তর আমেরিকা) এবং ইউরেশীয় মহাদেশ মধ্যে বিভক্ত হয়। এই দুইয়ের মাঝে গ্রীনল্যান্ডের মাধ্যমে যথেষ্ট সময় ধরে ভূ-সংযোগ থাকে, ফলে এদের মাঝে প্রাণীজগত আদানপ্রদান চলতে থাকে। প্রায় ৫০ মিলিয়ন বছর আগে থেকে, সমুদ্র স্তরের হ্রাস বৃদ্ধির ফলে ইউরোপের প্রকৃত আকৃতি এবং এর অন্যান্য মহাদেশ যেমন এশিয়ার সাথে সংযোগ নির্ধারিত হয়। ইউরোপের বর্তমান আকৃতি প্রায় পাঁচ মিলিয়ন বছর আগে টারশিয়ারি যুগের শেষ ভাগে দেখতে পাওয়া যায়।
0.5
6,331.663075
20231101.bn_1109_62
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%87%E0%A6%89%E0%A6%B0%E0%A7%8B%E0%A6%AA
ইউরোপ
সহস্রাব্দ ধরে কৃষিজ মানুষের সাথে সাথে বসবাস করে, ইউরোপের প্রাণী ও উদ্ভিদ মানুষের উপস্থিতিও কার্যক্রম দ্বারা গভীরভাবে প্রভাবিত হয়েছে। ফেনোস্ক্যান্ডিয়া এবং উত্তর রাশিয়া, বিভিন্ন জাতীয় উদ্যান ছাড়া, বর্তমানে প্রাকৃতিক বনাঞ্চল ইউরোপে কমই পাওয়া যায়।
1
6,331.663075
20231101.bn_1109_63
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%87%E0%A6%89%E0%A6%B0%E0%A7%8B%E0%A6%AA
ইউরোপ
ইউরোপে মিশ্র বন বেশি দেখতে পাওয়া যায়। এখানে বৃদ্ধির জন্য পরিবেশ খুব অনুকূল। উত্তরাঞ্চলে উপসাগরীয় প্রবাহ এবং উত্তর আটলান্টিক চালন মহাদেশকে উষ্ণ রাখে। দক্ষিণ ইউরোপকে একটি উষ্ণ, কিন্তু মৃদু জলবায়ু হিসাবে বর্ণনা করা যেতে পারে। এই অঞ্চলে প্রায়শই গ্রীষ্মকালে খরা হয়। এছাড়াও পর্বত ঢালের পরিবেশকে প্রভাবিত করে। কিছু পাহাড় (আল্পস, পাইরেনেস) পূর্ব-পশ্চিম ভিত্তিক এবং বায়ুকে মহাসাগর থেকে প্রচুর পানি অভ্যন্তর বহন করার সুযোগ করে দেয়। অন্যান্য গুলো (স্ক্যান্ডিনেভিয় পর্বতমালা, দিনারিদস, কার্পেথীয়, আপেন্নিস) দক্ষিণ-উত্তর ভিত্তিক এবং পাহাড়ে পড়া বৃষ্টি যেহেতু প্রাথমিকভাবে সমুদ্রের দিকে যায়, সেহেতু এই দিকে বনাঞ্চল ভালো হয়, আবার অপরদিকে পরিবেশ ততটা অনুকূল নয়। ইউরোপের মূল ভূখণ্ডের প্রায়ই কোনো না কোনো সময়ে পশু পালিত হত, এবং প্রাক কৃষিজ কেটে ফেলায় মূল উদ্ভিদ ও প্রাণী বাস্তুতন্ত্র ব্যাহত হয়।
0.5
6,331.663075
20231101.bn_1109_64
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%87%E0%A6%89%E0%A6%B0%E0%A7%8B%E0%A6%AA
ইউরোপ
ইউরোপের ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ সম্ভবত একসময় বন দ্বারা আবৃত ছিল। এটা ভূমধ্যসাগর থেকে আর্কটিক মহাসাগর পর্যন্ত প্রসারিত। যদিও ইউরোপের মূল বনের অর্ধেক বন শতাব্দী ধরে চলা অরণ্যবিনাশ-এর মাধ্যমে উজাড় হয়, তারপরেও ইউরোপে মোট জমির এক চতুর্থাংশে উপর বন আছে। যেমন স্ক্যান্ডিনেভিয়ার এবং রাশিয়ার তৈগা, ককেশাসের মিশ্র অতিবৃষ্টি অরণ্য এবং পশ্চিম ভূমধ্যসাগরের কর্ক ওক বন। সাম্প্রতিক সময়ে, বন উজাড় ক্রমশ কমে এসেছে এবং অনেক গাছ রোপণ করা হয়েছে। যাইহোক, অনেক ক্ষেত্রে মূল মিশ্র প্রাকৃতিক বন প্রতিস্থাপনে কনিফারে রোপিত হচ্ছে, কারণ তা দ্রুত বাড়ে। বৃক্ষরোপন এখন সুবিশাল এলাকা বিস্তার করে, কিন্তু বিভিন্ন প্রজাতির পশু পাখীর জন্য তা উৎকৃষ্ট আবাসস্থল নয়, কারণ তাতে বিভিন্ন প্রজাতির গাছপালা ও বৈচিত্র্যময় বন গঠন কাঠামো নেই। পশ্চিম ইউরোপে প্রাকৃতিক বনের পরিমাণ মাত্র ২–৩% বা তার কম, যা ইউরোপীয় রাশিয়ায় ৫–১০%। বনাঞ্চলে সবচেয়ে ক্ষুদ্রতম শতাংশের দেশ আইসল্যান্ড (১%), এবং বৃহত্তম ফিনল্যান্ড (৭৭%)।
0.5
6,331.663075
20231101.bn_1109_65
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%87%E0%A6%89%E0%A6%B0%E0%A7%8B%E0%A6%AA
ইউরোপ
শীতপ্রধান ইউরোপে, উভয় সূঁচালো এবং সরলবর্গীয় গাছ দ্বারা মিশ্র বন আধিপত্য দেখা যায়। মধ্য ও পশ্চিম ইউরোপের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রজাতি হলো বীচ ও ওক গাছ। উত্তরাঞ্চলে তৈগা একটি স্পুস–পাইন–বার্চ দ্বারা মিশ্র বন; আরও উত্তরে রাশিয়া এবং উত্তর স্ক্যান্ডিনেভিয়ার মধ্যে, তৈগা তুন্দ্রাকে জায়গা করে দেয় যে আর্কটিক অগ্রসরমান হয়। ভূমধ্যসাগরে, অনেক জলপাই গাছ রোপণ করা হয়েছে, যা খুব ভালোভাবে ঊষর জলবায়ুতে অভিযোজিত হয়েছে; আরো ব্যাপকভাবে দক্ষিণ ইউরোপে ভূমধ্যসাগরীয় সরলবর্গীয় চিরহরিৎ রোপণ করা হয়। আধা শুষ্ক ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে অনেক ঝোপঝাড় দেখতে পাওয়া যায়। ইউরেশীয় তৃণভূমির পূর্ব-পশ্চিমে একটি সংকীর্ণ অংশ পূর্বে ইউক্রেন, দক্ষিণে রাশিয়া প্রসারিত হয়ে হাঙ্গেরিতে শেষ হয় এবং উত্তরে তৈগার মধ্যে অনুপ্রস্থভাবে পার দেয়।
0.5
6,331.663075
20231101.bn_1109_66
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%87%E0%A6%89%E0%A6%B0%E0%A7%8B%E0%A6%AA
ইউরোপ
সবচেয়ে সাম্প্রতিক তুষার যুগে হিমবাহ এবং মানুষের উপস্থিতি ইউরোপীয় প্রাণীজগতের বিস্তার প্রভাবিত করে। ইউরোপের বহু অংশে সবচেয়ে বড় প্রাণী এবং শীর্ষ শিকারী প্রজাতি শিকার করার মাধ্যমে বিলুপ্ত হয়ে গেছে। পশমতুল্য ম্যামথ নব্য প্রস্তর যুগের শেষের আগেই বিলুপ্ত হয়েছে। এসময়ে নেকড়ে (মাংসাশী) এবং ভালুক বিপন্ন। একদা এরা ইউরোপের অধিকাংশ অংশে পাওয়া যেত। তবে, বন উজাড় এবং শিকার এই পশুদের আরোও এবং আরোও দূরে ঠেলে দেয়। মধ্যযুগ দ্বারা, ভালুকের আবাসস্থল যথেষ্ট বন আচ্ছাদনসহ অনধিগম্য পর্বত মধ্যেই সীমাবদ্ধ হয়। আজ, বাদামী ভালুক বলকান উপদ্বীপ, স্ক্যান্ডিনেভিয়া, এবং রাশিয়া প্রাথমিকভাবে বাস করে; কিছু সংখ্যক ভালুক ইউরোপের অন্যান্য দেশে (অস্ট্রিয়া, পিরেনে ইত্যাদি) দেখতে পাওয়া যায়, কিন্তু এইসব অঞ্চলে বাসস্থান ধ্বংস কারণে বাদামি ভালুকের জনসংখ্যা খণ্ডিত এবং প্রান্তিক। উপরন্তু, মেরু ভালুক স্বালবার্ড পাওয়া যেতে পারে, স্ক্যান্ডিনেভিয়ার উত্তরে একটি নরওয়েজীয় দ্বীপমালা। নেকড়ে, বাদামি ভালুক পর ইউরোপের দ্বিতীয় বৃহত্তম শিকারি প্রাণী, প্রাথমিকভাবে মধ্য ও পূর্ব ইউরোপ ও বলকানে এবং কিছু সংখ্যক পশ্চিম ইউরোপে (স্ক্যান্ডিনেভিয়া, স্পেন, ইত্যাদি) দেখতে পাওয়া যায়।
0.5
6,331.663075
20231101.bn_18628_14
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A6%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A7%82%E0%A6%9C%E0%A6%BE
দুর্গাপূজা
যাই হোক, এক এক দেবতার তেজপ্রভাবে বহুবর্ণময়ী দেবীর এক এক অঙ্গ উৎপন্ন হল - শিবের তেজে মুখমণ্ডল, যমের তেজে কেশদাম, সন্ধ্যার তেজে ভ্রূযুগল, অগ্নিতেজে ত্রিনয়ন, । প্রত্যেক দেবতা তাঁদের আয়ুধ বা অস্ত্র দেবীকে দান করলেন। হিমালয় দেবীকে তাঁর বাহনরূপে সিংহ দান করলেন। এই মহাদেবীই অষ্টাদশভুজা জয়া মহালক্ষ্মী রূপে মহিষাসুর বধের উদ্দেশ্যে যাত্রা করলেন । দেবী ও তাঁর বাহনের সিংহনাদে ত্রিভুবন কম্পিত হতে লাগল।
0.5
6,283.583111
20231101.bn_18628_15
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A6%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A7%82%E0%A6%9C%E0%A6%BE
দুর্গাপূজা
মহিষাসুর সেই প্রকম্পনে ভীত হয়ে প্রথমে তাঁর সেনাদলের বীরযোদ্ধাদের পাঠাতে শুরু করলেন। দেবী ও তাঁর বাহন সিংহ প্রবল পরাক্রমে যুদ্ধ করে একে একে সকল যোদ্ধা ও অসুরসেনাকে বিনষ্ট করলেন। তখন মহিষাসুর স্বয়ং দেবীর সঙ্গে যুদ্ধ শুরু করলেন। যুদ্ধকালে মায়াবী মহিষাসুর নানা রূপ ধারণ করে দেবীকে ভীত বা বিমোহিত করার প্রচেষ্টায় রত হলেন; কিন্তু দেবী সেই সকল প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দিলেন। তখন অসুর অহঙ্কারে মত্ত হয়ে প্রবল গর্জন করলেন। দেবী বললেন,
0.5
6,283.583111
20231101.bn_18628_16
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A6%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A7%82%E0%A6%9C%E0%A6%BE
দুর্গাপূজা
- রে মূঢ়, যতক্ষণ আমি মধুপান করি, ততক্ষণ তুই গর্জন করে নে। আমি তোকে বধ করলেই দেবতারা এখানে শীঘ্রই গর্জন করবেন।।
0.5
6,283.583111
20231101.bn_18628_17
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A6%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A7%82%E0%A6%9C%E0%A6%BE
দুর্গাপূজা
এই বলে দেবী লম্ফ দিয়ে মহিষাসুরের উপর আরোহণ তার কণ্ঠে পা দিয়ে শূলদ্বারা বক্ষ বিদীর্ণ করে তাঁকে বধ করলেন। অসুরসেনা হাহাকার করতে করতে পলায়ন করল এবং দেবতারা স্বর্গের অধিকার ফিরে পেয়ে আনন্দধ্বনি করতে লাগলেন।
0.5
6,283.583111
20231101.bn_18628_18
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A6%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A7%82%E0%A6%9C%E0%A6%BE
দুর্গাপূজা
দেবীমাহাত্ম্যম্-এ বর্ণিত দেবী পার্বতী সংক্রান্ত তৃতীয় ও সর্বশেষ কাহিনিটি হল শুম্ভ-নিশুম্ভ বধের কাহিনি। গ্রন্থের উত্তর চরিত্র বা তৃতীয় খণ্ডে বিধৃত পঞ্চম থেকে একাদশ অধ্যায়ে এই কাহিনি বর্ণিত হয়েছে : শুম্ভ ও নিশুম্ভ নামে দুই অসুরভ্রাতা স্বর্গ ও দেবতাদের যজ্ঞভাগ অধিকার করে নিলে দেবগণ হিমালয়ে গিয়ে আদিদেবী মহাদেবীকে স্তব করতে লাগলেন (পঞ্চম অধ্যায়ে উল্লিখিত এই স্তবটি অপরাজিতস্তব নামে পরিচিত; এটি হিন্দুদের নিকট অতিপবিত্র ও নিত্যপাঠ্য একটি স্তবমন্ত্র; “যা দেবী সর্বভূতেষু মাতৃরূপেণ সংস্থিতা” ও সমরূপ মন্ত্রগুলি এই স্তবের অন্তর্গত)। এমন সময় সেই স্থানে পার্বতী গঙ্গাস্নানে উপস্থিত হলে,দেবতাদের কষ্ট দেখে আদ্যাদেবী ইন্দ্রাদি দেবতার স্তবে প্রবুদ্ধা হয়ে তার দেহকোষ থেকে সৃষ্টি করেন এই দেবী কে আর পার্বতী এই দেবীর সাথে বীন্ধ পর্বতে যান ও বিন্ধ্ বাসিনী নামে অভিহিত হন। এই দেবী কৌশিকী নামে আখ্যাত হলেন ও শুম্ভ-নিশুম্ভ বধের দায়িত্ব গ্রহণ করলেন। শুম্ভ-নিশুম্ভের চর চণ্ড ও মুণ্ড তাকে দেখতে পেয়ে নিজ প্রভুদ্বয়কে বললেন যে এমন স্ত্রীলোক আপনাদেরই ভোগ্যা হবার যোগ্য। চণ্ড-মুণ্ডের কথায় শুম্ভ-নিশুম্ভ মহাসুর সুগ্রীবকে দৌত্যকর্মে নিযুক্ত করে দেবীর নিকট প্রেরণ করলেন। সুগ্রীব দেবীর কাছে শুম্ভ-নিশুম্ভের কুপ্রস্তাব মধুরভাবে ব্যক্ত করল। দেবী মৃদু হেসে বিনীত স্বরে বললেন, “তুমি সঠিকই বলেছ। এই বিশ্বে শুম্ভ-নিশুম্ভের মতো বীর কে আছে? তবে আমি পূর্বে অল্পবুদ্ধিবশত প্রতিজ্ঞা করেছিলাম, যে আমাকে যুদ্ধে পরাভূত করতে পারবে, কেবলমাত্র তাকেই আমি বিবাহ করব। এখন আমি প্রতিজ্ঞা লঙ্ঘন করি কি করে! তুমি বরং মহাসুর শুম্ভ বা নিশুম্ভকে বল, তাঁরা যেন এখানে এসে আমাকে পরাস্ত করে শীঘ্র আমার পাণিগ্রহণ করেন। আর বিলম্বে কি প্রয়োজন?” সুগ্রীব ক্রোধান্বিত হয়ে দেবীকে নিরস্ত হতে পরামর্শ দিল। কিন্তু দেবী নিজবাক্যে স্থির থেকে তাকে শুম্ভ-নিশুম্ভের কাছে প্রেরণ করলেন।
1
6,283.583111
20231101.bn_18628_19
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A6%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A7%82%E0%A6%9C%E0%A6%BE
দুর্গাপূজা
দেবীর কথায় কুপিত হয়ে অসুররাজ শুম্ভ তাকে উচিত শিক্ষা দেওয়ার উদ্দেশ্যে দৈত্যসেনাপতি ধূম্রলোচনকে প্রেরণ করলেন। ধূম্রলোচনের সঙ্গে দেবীর ভয়ানক যুদ্ধ হল ও সেই যুদ্ধে ধূম্রলোচন পরাজিত ও নিহত হল। এই সংবাদ পেয়ে শুম্ভ চণ্ড-মুণ্ড ও অন্যান্য অসুরসৈন্যদের প্রেরণ করল। তাদের সঙ্গে যুদ্ধ করার জন্য দেবী নিজ দেহ থেকে দেবী কালীর সৃষ্টি করলেন। চামুণ্ডা ভীষণ যুদ্ধের পর চণ্ড-মুণ্ডকে বধ করলেন। তখন দেবী কৌশিকী তাকে চামুণ্ডা আখ্যায় ভূষিত করলেন।
0.5
6,283.583111
20231101.bn_18628_20
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A6%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A7%82%E0%A6%9C%E0%A6%BE
দুর্গাপূজা
চণ্ড-মুণ্ডের মৃত্যুসংবাদ পেয়ে সকল দৈত্যসেনাকে সুসজ্জিত করে প্রেরণ করলেন দেবীর বিরুদ্ধে। তখন তাকে সহায়তার প্রত্যেক দেবতার শক্তি রূপে দেবী পার্বতী তার এক এক অঙ্গ থেকে এক এক দেবীকে সৃষ্টি করেন । এই দেবীরা হলেন ব্রহ্মাণী, মাহেশ্বরী, কৌমারী, বৈষ্ণবী, বারাহী, নারসিংহী, ঐন্দ্রী প্রমুখ। এঁরা প্রচণ্ড যুদ্ধে দৈত্যসেনাদের পরাভূত ও নিহত করতে লাগলেন। এই সময় রক্তবীজ দৈত্য সংগ্রামস্থলে উপস্থিত হল। তার রক্ত একফোঁটা মাটিতে পড়লে তা থেকে লক্ষ লক্ষ রক্তবীজ দৈত্য সৃষ্টি হয়। এই কারণে কৌশিকী কালীর সহায়তায় রক্তবীজকে বধ করলেন। কালী রক্তবীজের রক্ত মাটিতে পড়তে না দিয়ে নিজে পান করে নেন।
0.5
6,283.583111
20231101.bn_18628_21
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A6%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A7%82%E0%A6%9C%E0%A6%BE
দুর্গাপূজা
এরপর শুম্ভ আপন ভ্রাতা নিশুম্ভকে যুদ্ধে প্রেরণ করেন। প্রচণ্ড যুদ্ধের পর দেবী দুর্গা নিশুম্ভকে বধ করলেন। প্রাণপ্রতিম ভাইয়ের মৃত্যুর শোকে আকুল হয়ে শুম্ভ দেবীকে বলল, “তুমি গর্ব করো না, কারণ তুমি অন্যের সাহায্যে এই যুদ্ধে জয়লাভ করেছ।” তখন দেবী বললেন,
0.5
6,283.583111
20231101.bn_18628_22
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A6%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A7%82%E0%A6%9C%E0%A6%BE
দুর্গাপূজা
-একা আমিই এ জগতে বিরাজিত। আমি ছাড়া দ্বিতীয় কে আছে? রে দুষ্ট, এই সকল দেবী আমারই বিভূতি। দ্যাখ্, এরা আমার দেহে বিলীন হচ্ছে।
0.5
6,283.583111
20231101.bn_42564_13
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%A6
বেদ
ঈশ্বর, দেবতা ও প্রকৃতি বিষয়ক আলোচনা ঋগ্বেদে প্রাধান্য পেয়েছে। ঋগ্বেদের সংকলনকাল খ্রিষ্টপূর্ব ১৫০০ - ১১০০ অব্দ।
0.5
6,270.29996
20231101.bn_42564_14
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%A6
বেদ
যজুর্বেদ হল গদ্য মন্ত্রসমূহের বেদ। যজুর্বেদ বৈদিক সংস্কৃত ভাষায় রচিত একটি প্রাচীন ধর্মগ্রন্থ। যজ্ঞের অগ্নিতে পুরোহিতের আহুতি দেওয়ার এবং সামাজিক, রাজনৈতিক ও ব্যক্তিবিশেষের পালনীয় আচার-অনুষ্ঠানগুলোর পদ্ধতি ও কর্তব্যকর্ম এই গ্রন্থে সংকলিত হয়েছে। যজুর্বেদের মন্ত্র সংখ্যা ১,৯৭৫টি। যজুর্বেদের সঠিক রচনাকাল সঠিক জানা যায় না। তবে ঐতিহাসিকদের মতে, আনুমানিক খ্রিষ্টপূর্ব ১১০০ - ৮০০ অব্দে যজুর্বেদ সংকলিত হয়।
0.5
6,270.29996
20231101.bn_42564_15
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%A6
বেদ
সামবেদ হল সংগীত ও মন্ত্রের বেদ। সামবেদ হিন্দুধর্মের সর্বপ্রধান ধর্মগ্রন্থ বেদের তৃতীয় অংশ। এটি বৈদিক সংস্কৃত ভাষায় রচিত। সামবেদে ১,৮৭৫টি মন্ত্র বা ‘ঋচা’ রয়েছে। এই মন্ত্রগুলোর সাথে বেদের প্রথম ভাগ ঋগ্বেদের মন্ত্রের অনেক মিল রয়েছে। সামবেদ সংহিতার তিনটি আর্চিক বা বিভাগ রয়েছে: পূর্বার্চিক, মহানাম্নিআর্চিক এবং উত্তরার্চিক। এটি একটি প্রার্থনামূলক ধর্মগ্রন্থ। বর্তমানে সামবেদের তিনটি শাখার অস্তিত্ব উপলব্ধ রয়েছে। এই বেদের একাধিক পাণ্ডুলিপি ভারতের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আবিষ্কৃত হয়েছে।
0.5
6,270.29996
20231101.bn_42564_16
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%A6
বেদ
ঐতিহাসিকরা সামবেদের আদি অংশটিকে ঋগ্বৈদিক যুগের সমসাময়িক বলে মনে করেন। তবে এই বেদের যে অংশটির অস্তিত্ব এখনও পর্যন্ত রয়েছে, সেটি বৈদিক সংস্কৃত ভাষার পরবর্তী-ঋগ্বৈদিক মন্ত্র পর্যায়ে রচিত। এই অংশের সংকলনকাল খ্রিষ্টপূর্ব ১২০০ - ৮০০ অব্দ ।
0.5
6,270.29996
20231101.bn_42564_17
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%A6
বেদ
অথর্ববেদ হল হিন্দুধর্মের সর্বোচ্চ ধর্মগ্রন্থ বেদের চতুর্থ ভাগ। ‘অথর্ববেদ’ শব্দটি সংস্কৃত ‘অথর্বণ’ (দৈনন্দিন জীবনযাত্রার প্রণালী) ও ‘বেদ’ (জ্ঞান) শব্দ-দু’টির সমষ্টি। অথর্ববেদ বৈদিক সাহিত্যের পরবর্তীকালীন সংযোজন। অথর্ববেদ বৈদিক সংস্কৃত ভাষায় রচিত। ২০টি খণ্ডে বিভক্ত এই গ্রন্থে ৭৩০টি স্তোত্র ও ৫৯৭৭টি মন্ত্র আছে। অথর্ববেদের এক-ষষ্ঠাংশ স্তোত্র ঋগ্বেদ থেকে সংকলিত। ১৫শ ও ১৬শ খণ্ড ব্যতীত এই গ্রন্থের স্তোত্রগুলো নানাপ্রকার বৈদিক ছন্দে রচিত। এই গ্রন্থের দুটি পৃথক শাখা রয়েছে। এগুলো হল পৈপ্পলাদ ও শৌনকীয়। এই শাখাদুটি আজও বর্তমান। মনে করা হয় যে, পৈপ্পলাদ শাখার নির্ভরযোগ্য পাণ্ডুলিপিগুলো হারিয়ে গিয়েছে। তবে ১৯৫৭ সালে ওড়িশা থেকে একগুচ্ছ সুসংরক্ষিত তালপাতার পাণ্ডুলিপি আবিষ্কৃত হয়। খ্রিষ্টপূর্ব ১০০০ - ৮০০ অব্দে অথর্ববেদ সংকলিত হয়।
1
6,270.29996
20231101.bn_42564_18
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%A6
বেদ
বেদের এই অংশে মন্ত্রাংশের বিবিধ আলোচনা ও যজ্ঞে তার ব্যবহার তথা যজ্ঞ প্রক্রিয়া সম্পর্কে বিস্তৃত বিবরণ, মন্ত্রের যাগে বিনিয়োগ, শব্দের ব্যুৎপত্তি ও ছন্দবিষয়ক আলোচনা এবং ইতিহাস পুরাকীর্তি যজ্ঞফলনিষ্ঠ আলোচনা হয়েছে। এই অংশটি গদ্যে রচিত।
0.5
6,270.29996
20231101.bn_42564_19
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%A6
বেদ
আরণ্যক হচ্ছে ব্রাহ্মণেরই অংশ। এটি অরণ্যে বাসকারী তপস্বীদের পাঠ্য। আরণ্যক হতে বেদের জ্ঞান অংশের আলোচনা শুরু হয়েছে। এতে রয়েছে আত্মোপলব্ধির জন্য ধ্যান ও উপাসনার বর্ণনা। ব্রাহ্মণের মতো আরণ্যকও গদ্যে রচিত। অনেকে মনে করেন অরণ্যে রচিত হওয়ায় এর নাম হয়েছে আরণ্যক। আবার বানপ্রস্থ আশ্রমের জীবনব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলেও এর নাম আরণ্যক হয়েছে।
0.5
6,270.29996
20231101.bn_42564_20
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%A6
বেদ
উপনিষদ হিন্দুধর্মের এক বিশেষ ধরনের ধর্মগ্রন্থের সমষ্টি। এই বইগুলোতে হিন্দুধর্মের তাত্ত্বিক ভিত্তিটি আলোচিত হয়েছে। উপনিষদের অপর নাম বেদান্ত। হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা বিশ্বাস করেন, উপনিষদ্‌গুলোতে সর্বোচ্চ সত্য স্রষ্টা বা ব্রহ্মের প্রকৃতি এবং মানুষের মোক্ষ বা আধ্যাত্মিক মুক্তি লাভের উপায় বর্ণিত হয়েছে। উপনিষদ্‌গুলো মূলত বেদ-পরবর্তী ব্রাহ্মণ ও আরণ্যক অংশের শেষ অংশে পাওয়া যায়। যেমন, শতপথ ব্রাহ্মণের ১৩তম কাণ্ডের ৬ষ্ট অধ্যায়টি বৃহদারণ্যক উপনিষদ্‌ নামে পারিচিত; ঐতরেয় আরণ্যকের অংশ হচ্ছে ঐতরেয় উপনিষদ্‌; ছান্দোগ্য ব্রাহ্মণের শেষ ৮ম প্রপাঠক হচ্ছে ছান্দোগ্য উপনিষদ্‌, প্রভৃতি। তবে যজুর্বেদ সংহিতার ৪০ তম অধ্যায়েটি হচ্ছে ঈশোপনিষদ্‌। এগুলো প্রাচীনকালে গুরু-শিষ্য পরম্পরায় মুখে মুখে প্রচলিত ছিল।
0.5
6,270.29996
20231101.bn_42564_21
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%A6
বেদ
বেদের সংহিতা, ব্রাহ্মণ, আরণ্যক, ও উপনিষদ্ যথরীতি পাঠের জন্য এবং তাদের অর্থবোধ এবং বিনিয়োগ সহায়ক অঙ্গ হচ্ছে বেদাঙ্গ। বেদাঙ্গ ৬টি। একে ষড়ভঙ্গ বা বেদের ছয় অঙ্গ স্বরূপ বলা হয়। এই ষড় বেদাঙ্গগুলো হলো:
0.5
6,270.29996
20231101.bn_9503_8
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%A3
রামায়ণ
গবেষকেরা মনে করেন, রামায়ণের প্রথম পর্ব আদিকাণ্ড ও শেষ পর্ব উত্তরকাণ্ড পরবর্তীকালের সংযোজন। দ্বিতীয় থেকে ষষ্ঠ কাণ্ড পর্যন্ত মহাকাব্যটিই প্রাচীন অংশ। আদিকাণ্ড ও উত্তরকাণ্ড-এর লেখক বা লেখকবৃন্দ উত্তর ভারতের পূর্ব গাঙ্গেয় সমভূমি এবং ষোড়শ মহাজনপদের যুগের কোশল ও মগধ রাজ্যের সঙ্গে পরিচিত ছিলেন। কারণ উক্ত অংশে এই সকল অঞ্চল সম্পর্কে প্রদত্ত ভৌগোলিক ও ভূরাজনৈতিক তথ্য এই অঞ্চলের ইতিহাসের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। যদিও অরণ্যকাণ্ড থেকে রাক্ষসবধকারী নায়ক ও নানাপ্রকার পৌরাণিক জীবজন্তুর উপস্থিতিতে সহসাই এই উপাখ্যান কল্পকাহিনীমূলক হয়ে পড়েছে। মধ্য ও দক্ষিণ ভারতের ভৌগোলিক তথ্য এখানে অত্যন্ত অস্পষ্ট। লঙ্কা দ্বীপে ভৌগোলিক অবস্থানটিও স্পষ্ট করে বলা হয়নি। এই সকল তথ্যের উপর ভিত্তি করেই ঐতিহাসিক এইচ. ডি. সঙ্কলিয়া খ্রিষ্টপূর্ব চতুর্থ শতাব্দীকে এই মহাকাব্যের রচনাকাল বলে উল্লেখ করেন। এ. এল. ব্যাসাম অবশ্য এই মত প্রকাশ করেছেন যে রাম সম্ভবত ছিলেন খ্রিষ্টপূর্ব অষ্টম অথবা সপ্তম শতাব্দীর এক ক্ষুদ্র গোষ্ঠীপতি।
0.5
6,263.808481
20231101.bn_9503_9
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%A3
রামায়ণ
রাম – এই উপাখ্যানের নায়ক। বিষ্ণুর সপ্তম অবতার রাম ছিলেন রাজা দশরথ ও তার জ্যেষ্ঠা মহিষী কৌশল্যার জ্যৈষ্ঠ ও প্রিয়তম পুত্র। রামায়ণে রামকে মর্যাদা পুরুষোত্তম অর্থাৎ সর্বগুণের আধার বলে অভিহিত করা হয়েছে। দ্বিতীয়া স্ত্রী কৈকেয়ীর চক্রান্তে দশরথ রামকে চৌদ্দ বছরের জন্য বনবাসে যাওয়ার নির্দেশ দিতে বাধ্য হন। রামও পিতার আজ্ঞা শিরোধার্য করে বনবাসে গমন করেন।
0.5
6,263.808481
20231101.bn_9503_10
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%A3
রামায়ণ
সীতা – রামের প্রিয়তমা পত্নী এবং রাজা জনকের পালিতা কন্যা। সীতার অপর নাম জানকী। তিনি বিষ্ণুপত্নী দেবী লক্ষ্মীর অবতার। রামায়ণে তাকে নারীজাতির আদর্শস্থানীয়া বলে বর্ণনা করা হয়েছে। তিনি স্বামীর সঙ্গে বনবাসে গমন করেন। রাবণ তাকে অপহরণ করে লঙ্কায় বন্দী করে রাখেন। রাম রাবণকে পরাজিত করে তাকে উদ্ধার করেন। পরবর্তীকালে তিনি রামের দুই যমজ পুত্র লব ও কুশের জন্ম দেন।
0.5
6,263.808481
20231101.bn_9503_11
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%A3
রামায়ণ
হনুমান – কিষ্কিন্ধ্যা রাজ্যের এক বানর। তিনি শিবের (একাদশ রুদ্র) অবতার এবং রামের আদর্শ ভক্ত। তার পিতা বানররাজ কেশরী ও মাতা অঞ্জনা। সীতার অবস্থান নির্ণয় ও উদ্ধার তথা লঙ্কার যুদ্ধে তিনি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করেন।
0.5
6,263.808481
20231101.bn_9503_12
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%A3
রামায়ণ
লক্ষ্মণ – রামের ভ্রাতা। সুমিত্রার পুত্র। তিনি স্বেচ্ছায় রাম ও সীতার সঙ্গে বনবাসে গমন করেন ও সেখানে তাদের রক্ষা করে চলেন। লক্ষ্মণ ছিলেন বিষ্ণুর সহচর শেষনাগের অবতার। মারীচের ছলনায় রামের বিপদাশঙ্কায় তিনি সীতাকে একাকী ফেলে যেতে বাধ্য হন। সেই সুযোগে রাবণ সীতাকে অপহরণ করেন।
1
6,263.808481
20231101.bn_9503_13
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%A3
রামায়ণ
রাবণ – লঙ্কার রাক্ষসরাজা। দশ হাজার বছর কঠোর তপস্যা করে তিনি সৃষ্টিকর্তা ব্রহ্মার কাছ থেকে এই বর লাভ করেন যে কোনো দেব, দানব বা ভৌতিক জীব তাকে বধ করতে পারবেন না। তিনি ছিলেন এক শক্তিশালী রাক্ষসরাজা। ঋষিদের উপর অত্যাচার চালিয়ে করে তিনি বিশেষ আমোদ অনুভব করতেন। ব্রহ্মার বরদানকে এড়িয়ে তাকে হত্যা করার জন্য বিষ্ণুকে মানব রূপে জন্মগ্রহণ করতে হয়।
0.5
6,263.808481
20231101.bn_9503_14
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%A3
রামায়ণ
দশরথ – অযোধ্যার রাজা ও রামের পিতা। তার তিন পত্নী: কৌশল্যা, কৈকেয়ী ও সুমিত্রা এবং রাম ব্যতীত অপর তিন পুত্র: ভরত, লক্ষ্মণ ও শত্রুঘ্ন। দশরথের প্রিয়তমা পত্নী কৈকেয়ী তাকে বাধ্য করেন রামকে চৌদ্দ বছরের জন্য বনবাসে পাঠিয়ে ভরতকে যুবরাজ ঘোষণা করতে। রাম বনে গেলে পুত্রশোকে দশরথের মৃত্যু হয়।
0.5
6,263.808481
20231101.bn_9503_15
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%A3
রামায়ণ
ভরত – দশরথের পুত্র। যখন তিনি জানতে পারেন যে রামকে বনে পাঠানোর প্রধান চক্রী তার মা এবং তারই জন্য পুত্রশোকে পিতার মৃত্যু হয়েছে, তখন তিনি ঘৃণাভরে রাজপদ প্রত্যাখ্যান করে রামের অনুসন্ধানে বাহির হন। কিন্তু রাম প্রত্যাবর্তনে অসম্মত হলে, তিনি রামের পাদুকা(খড়ম) দুখানি চেয়ে নেন। সেই খড়ম দুটি সিংহাসনে স্থাপন করে পরবর্তী চৌদ্দ বছর রামের নামে অযোধ্যা শাসন করেছিলেন ভরত।
0.5
6,263.808481
20231101.bn_9503_16
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%A3
রামায়ণ
রামায়ণ সাতটি কাণ্ড বা খণ্ডে বিভক্ত। যথা: আদিকাণ্ড বা বালকাণ্ড, অযোধ্যাকাণ্ড, অরণ্যকাণ্ড, কিষ্কিন্ধ্যাকাণ্ড, সুন্দরকাণ্ড, লঙ্কাকাণ্ড বা যুদ্ধকাণ্ড ও উত্তরকাণ্ড। এই সপ্তকাণ্ডে রামের জীবনকথা কালানুক্রমিকভাবে বর্ণিত হয়েছে। আদিকাণ্ড-এ বর্ণিত হয়েছে রামের জন্ম, শৈশব ও সীতার সহিত বিবাহের কথা; অযোধ্যাকাণ্ড-এ বর্ণিত হয়েছে রামের রাজ্যাভিষেক প্রস্তুতি ও তার বনগমনের কথা; তৃতীয় খণ্ড অরণ্যকাণ্ড-এ বর্ণিত হয়েছে রামের বনবাসের কথা ও রাবণ কর্তৃক সীতাহরণের বৃত্তান্ত; চতুর্থ খণ্ড কিষ্কিন্ধ্যাকাণ্ড-এ বর্ণিত হয়েছে হনুমান ও রামের মিলন, রামের সহায়তায় বানররাজ বালী হত্যা এবং বালীর কনিষ্ঠ ভ্রাতা সুগ্রীবের কিষ্কিন্ধ্যার রাজ্যাভিষেক; পঞ্চম খণ্ড সুন্দরকাণ্ড-এ বর্ণিত হয়েছে হনুমানের বীরত্বগাথা, তার লঙ্কাগমন ও সীতার সহিত সাক্ষাতের কথা; রাম ও রাবণের যুদ্ধ বর্ণিত হয়েছে ষষ্ঠ খণ্ড লঙ্কাকাণ্ড-এ; সর্বশেষ খণ্ড উত্তরকাণ্ড-এর মূল উপজীব্য রাম ও সীতার পুত্র লব ও কুশের জন্মবৃত্তান্ত, তাদের রাজ্যাভিষেক ও রামের ধরিত্রী ত্যাগ।
0.5
6,263.808481
20231101.bn_10098_2
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%87%E0%A6%B8%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A7%87%E0%A6%B2
ইসরায়েল
অর্থনৈতিকভাবে ইসরায়েল একটি অত্যন্ত উন্নত শিল্প -প্রধান রাষ্ট্র এবং স্থূল আভ্যন্তরীণ উৎপাদনের হিসেবে ইসরায়েল বিশ্বের ৩৪তম বৃহত্তম অর্থনীতি। ইসরায়েল অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও উন্নয়ন সংস্থার সদস্যরাষ্ট্র। বিশ্বব্যাংকের হিসাবমতে জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার সাথে এটি এশিয়ার মোট ৩টি উচ্চ-আয়ের রাষ্ট্রগুলির একটি। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের মতে এটি বিশ্বের ৩৯টি অগ্রসর অর্থনীতিসমৃদ্ধ দেশগুলির একটি।
0.5
6,100.694746
20231101.bn_10098_3
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%87%E0%A6%B8%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A7%87%E0%A6%B2
ইসরায়েল
ইসরায়েলে প্রায় ৯৩ লক্ষ লোক বাস করে এবং এটি মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ দেশ; এখানে প্রতি বর্গকিলোমিটারে প্রায় ৪২৫ জন অধিবাসী বাস করে। এদের মধ্যে ৬৭ লক্ষ ইহুদী জাতি ও ধর্মাবলম্বী ও ১৯ লক্ষ আরব জাতিভুক্ত (যাদের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমান)। এটিই বিশ্বের একমাত্র ইহুদী সংখ্যাগরিষ্ঠ রাষ্ট্র। এর জনগণ অত্যন্ত উচ্চশিক্ষিত; এখানকার প্রায় অর্ধেক জনগণের (২৫-৬৪ বছর বয়সী) বিশ্ববিদ্যালয় বা তার সমপর্যায়ের শিক্ষাগত যোগ্যতা আছে, যা বিশ্বের ৩য় সর্বোচ্চ। দেশের জীবনযাত্রার মান গোটা মধ্যপ্রাচ্যের মধ্যে সর্বোচ্চ; এশিয়াতে ৫ম ও বিশ্বে ১৯তম।
0.5
6,100.694746
20231101.bn_10098_4
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%87%E0%A6%B8%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A7%87%E0%A6%B2
ইসরায়েল
ইসরায়েল বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তির নিরিখে বিশ্বের সেরা দেশগুলির একটি। মার্কিন সংবাদ মাধ্যম ব্লুমবার্গের প্রকাশিত ব্লুমবার্গ নবীকরণ সূচকে ২০১৯,২০২০ এবং ২০২১ সালে ইসরায়েল যথাক্রমে ৫ম, ৬ষ্ঠ ও ৭ম সেরা নবীকারক হিসেবে স্থান পেয়েছিল (দক্ষিণ কোরিয়া ও সিঙ্গাপুরের পরে এশিয়াতে তৃতীয়)। অন্যদিকে মার্কিন কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয় ও আরও কিছু সহযোগী সংস্থার প্রকাশিত বৈশ্বিক নবীকরণ সূচকে দেশটি ২০২০ সালে ১৩তম স্থান লাভ করে। শেষোক্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী ইসরায়েলে প্রতি ১০ লক্ষ অধিবাসীর জন্য ৮৩৪১ জন বিজ্ঞানী, গবেষক এবং প্রকৌশলী আছেন, যা বিশ্বের সর্বোচ্চ। ইসরায়েল তার বাৎসরিক বাজেটের প্রায় ৫% বৈজ্ঞানিক গবেষণা ও উন্নয়নের জন্যে বরাদ্দ করে, যা বিশ্বের মধ্যে সর্বোচ্চ। গবেষণামূলক শিল্পপ্রতিষ্ঠান ও বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের সহযোগিতার নিরিখে এটি বিশ্বের ১ নম্বর দেশ। ইসরায়েলের বৈদেশিক বাণিজ্যের ১৩% তথ্য ও প্রযুক্তি সেবা রপ্তানিতে নিয়োজিত, যা বিশ্বের সর্বোচ্চ। ইসরায়েল প্রতি একশত কোটি মার্কিন ডলার স্থূল অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের হিসেবে বিশ্বের সর্বাধিক সংখ্যক মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন নির্মাণ করে। জ্ঞানের বিস্তারে দেশটি বিশ্বের ২য় সেরা দেশ; ১৫- ৬৫ বছরের প্রতি ১০ লক্ষ ইসরায়েলির উইকিপিডিয়ায় সম্পাদনার সংখ্যা ৯৪, যা বিশ্বের ৩য় সর্বোচ্চ।
0.5
6,100.694746
20231101.bn_10098_5
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%87%E0%A6%B8%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A7%87%E0%A6%B2
ইসরায়েল
ইসরায়েল নিজেকে একটি ইহুদীবাদী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে দাবী করে। এখানে একটি প্রতিনিধিত্বমূলক সংসদীয় গণতন্ত্র বিদ্যমান। দেশটির এককক্ষবিশিষ্ট আইনসভার নাম ক্নে‌সেত। প্রধানমন্ত্রী সরকারপ্রধানের দায়িত্ব পালন করেন।
0.5
6,100.694746
20231101.bn_10098_6
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%87%E0%A6%B8%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A7%87%E0%A6%B2
ইসরায়েল
ইসরায়েল রাষ্ট্রের জন্ম, ইতিহাস ও রাজনীতি মধ্যপ্রাচ্য সংকটের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। দেশটি স্বাধীন হওয়ার পর থেকেই প্রতিবেশী আরব রাষ্ট্রগুলির সাথে বেশ কয়েকবার যুদ্ধে লিপ্ত হয়। এটি ১৯৬৭ সাল থেকে অর্ধ-শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে ফিলিস্তিনি-অধ্যুষিত পশ্চিম তীর এবং গাজা উপত্যকা সামরিকভাবে দখল করে আছে। এই ঘটনাটি আন্তর্জাতিকভাবে আধুনিক ইতিহাসের দীর্ঘতম সামরিক দখলের ঘটনা হিসেবে গণ্য করা হয়। ২০২১ সালে এসে জাতিসংঘের ১৯২টি সদস্যরাষ্ট্রের মধ্যে ১৬৪টি রাষ্ট্র ইসরায়েলকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিলেও ২৮টি রাষ্ট্র (মূলত মুসলমান অধ্যুষিত) এখনও ইসরায়েলের সার্বভৌমত্ব মেনে নেয়নি এবং এর সাথে তাদের কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। তাদের মতে, ইসরায়েল স্বাধীন রাষ্ট্র ফিলিস্তিনের একটি অংশের অবৈধ দখলদার বাহিনীর নিয়ন্ত্রিত ভূখণ্ড। তবে নিকটতম দুই আরব প্রতিবেশী মিশর ও জর্দানের সাথে ইসরায়েল শান্তিচুক্তি স্বাক্ষর করেছে এবং দেশ দুইটির স্বীকৃতিও লাভ করেছে।
1
6,100.694746
20231101.bn_10098_7
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%87%E0%A6%B8%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A7%87%E0%A6%B2
ইসরায়েল
মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ২০২১ সালের এপ্রিল মাসে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে যাতে ঐতিহাসিক গবেষণা ও দালিলিক যুক্তিপ্রমাণসহ দাবী করা হয় যে ইসরায়েলি সরকার প্রণালীবদ্ধভাবে ইসরায়েলের ইহুদীদেরকে অগ্রাধিকার প্রদান করে এবং অধিকৃত পশ্চিম তীর ও গাজা ভূখণ্ডের ফিলিস্তিনিদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ করে। সংস্থাটির মতে ইসরায়েলের আইন, নীতি ও ইসরায়েলের উচ্চপদস্থ সরকারী কর্মকর্তাদের বিবৃতিতে সুস্পষ্ট প্রমাণিত হয় যে জনপরিসংখ্যান, রাজনৈতিক ক্ষমতা ও ভূমির উপরে ইহুদী ইসরায়েলিদের কর্তৃত্ব বজায় রাখার মূল লক্ষ্যটি ইসরায়েলি সরকারের সমস্ত নীতিকে দিকনির্দেশনা প্রদান করেছে। এই লক্ষ্যে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ ফিলিস্তিনিদের জাতিগত পরিচয়ের ভিত্তিতে বিভিন্ন মাত্রায় তাদের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে গণহারে ভূমি জবরদখল, অব্যাহতভাবে ইসরায়েলি বসতি নির্মাণ ও সুউচ্চ প্রাচীর নির্মাণ করে ফিলিস্তিনিদেরকে ছিটমহলে অবরুদ্ধকরণ ও বলপূর্বক পৃথকীকরণ, তাদের বসবাসের অধিকার ও নাগরিক অধিকার হরণ ও তাদের উপরে দমন-নিপীড়নের মতো কাজগুলি সম্পাদন করে চলেছে। কিছু কিছু এলাকায় এই ধরনের বৈষম্য এতই প্রবল যে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের মতে ইসরায়েলি সরকারের আচরণগুলি একটি অলিখিত সীমা লঙ্ঘন করেছে এবং এগুলি জাতিবিদ্বেষভিত্তিক পৃথকাবাসন (আপার্টহাইট) ও নিপীড়নের মতো মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ হিসেবে গণ্য হবার যোগ্য। এর আগে ২০১৭ সালে মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বিবৃতি দেয় যে ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ইসরায়েল ফিলিস্তিনি ভূমি জবরদখল, ছয় লক্ষ ইহুদীর জন্য ২৮০টির মতো (আন্তর্জাতিক আইনের দৃষ্টিতে) অবৈধ বসতি স্থাপন, ফিলিস্তিনিদের বাসভূমি থেকে উচ্ছেদের পাশাপাশি অবাধ বৈষম্যমূলক আচরণের দ্বারা প্রতিদিন ফিলিস্তিনিদেরকে কর্মস্থলে গমন, বিদ্যালয়ে গমন, বিদেশে গমন, আত্মীয়দের সাক্ষাৎ, অর্থ উপার্জন, প্রতিবাদে অংশগ্রহণ, কৃষিভূমিতে কাজ করার ক্ষমতা, এমনকি বিদ্যুৎ ও সুপেয় জলের লভ্যতার মতো মৌলিক অধিকারগুলি প্রণালীবদ্ধভাবে লঙ্ঘন করে চলেছে।
0.5
6,100.694746
20231101.bn_10098_8
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%87%E0%A6%B8%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A7%87%E0%A6%B2
ইসরায়েল
১৯৪৮ সালে দেশটির স্বাধীনতা লাভের সময় নাম রাখা হয় 'স্টেট অব ইসরায়েল', হিব্রু ভাষায় নাম রাখার কথা ভাবা হয়েছিলো যেমন: ইস্রায়েল দেশ, সিয়োন অথবা যিহূদিয়া। তবে ইসরায়েল নামটি হিব্রু এবং আরবি দুটো ভাষারই হওয়াতে এই নামই রাখারই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়।
0.5
6,100.694746
20231101.bn_10098_9
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%87%E0%A6%B8%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A7%87%E0%A6%B2
ইসরায়েল
৪র্থ শতাব্দীতে কনস্টানটাইনের ধর্মান্তরিত হওয়ার সাথে সাথে প্যালেস্টাইনে সংখ্যাগরিষ্ঠ ইহুদিদের জন্য পরিস্থিতি আরও কঠিন হয়ে পড়ে। ইহুদি এবং ইহুদি ধর্মের বিরুদ্ধে বৈষম্যমূলক আইনের একটি ধারা পাশ করা হয়েছিল এবং গির্জা এবং কর্তৃপক্ষ উভয়ের দ্বারাই ইহুদিরা নির্যাতিত হয়েছিল। অনেক ইহুদি প্রবাসে প্রবাসী সম্প্রদায়ের বিকাশ লাভ করেছিল, কিছু স্থানীয়ভাবে খ্রিস্টান অভিবাসন এবং স্থানীয় ধর্মান্তর হয়েছিল । 5 ম শতাব্দীর মাঝামাঝি, সেখানে খ্রিস্টান সংখ্যাগরিষ্ঠ ছিল।৫ম শতাব্দীর শেষের দিকে, সামারিটান বিদ্রোহ শুরু হয়, যা ৬ষ্ঠ শতাব্দীর শেষভাগ পর্যন্ত অব্যাহত থাকে এবং এর ফলে সামারিটান জনসংখ্যা ব্যাপকভাবে হ্রাস পায়। জেরুজালেমের সাসানিয়ান বিজয়ের পর এবং ৬১৪ খ্রিস্টাব্দে হেরাক্লিয়াসের বিরুদ্ধে স্বল্পস্থায়ী ইহুদি বিদ্রোহের পর , বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্য ৬২৮ সালে এই এলাকার নিয়ন্ত্রণ পুনঃসংহত করে ।
0.5
6,100.694746
20231101.bn_10098_10
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%87%E0%A6%B8%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A7%87%E0%A6%B2
ইসরায়েল
634-641 খ্রিস্টাব্দে, রাশিদুন খিলাফত লেভান্ট জয় করে । পরবর্তী ছয় শতাব্দীতে এই অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ উমাইয়া , আব্বাসীয় , ফাতিমীয় খিলাফত এবং পরবর্তীকালে সেলজুক ও আইয়ুবী রাজবংশের মধ্যে হস্তান্তরিত হয়। পরবর্তী কয়েক শতাব্দীতে এলাকার জনসংখ্যা ব্যাপকভাবে হ্রাস পায়, রোমান ও বাইজেন্টাইন আমলে আনুমানিক ১ মিলিয়ন থেকে উসমানীয় যুগের প্রথম দিকে প্রায় ৩০০,০০০-এ নেমে আসে। এই জনসংখ্যা হ্রাসের পাশাপাশি আরবায়নের একটি স্থির প্রক্রিয়া ছিল অমুসলিম দেশত্যাগ, মুসলিম অভিবাসন এবং স্থানীয়ভাবে ইসলামে ধর্মান্তরিত হওয়ার কারণে ইসলামিকরণ ঘটে।
0.5
6,100.694746
20231101.bn_1525_3
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%81%E0%A6%B7
মানুষ
মানুষের বিবর্তন সম্পর্কে নানা নৃতাত্ত্বিক মতবাদ আছে। বিবর্তন তত্ত্ব অনুযায়ী, মানুষ আর পৃথিবীতে বিদ্যমান অন্যান্য নরবানরেরা অনেককাল আগে একই পূর্বপুরুষ থেকে উদ্ভূত হয়ে বিবর্তিত হয়েছে এবং ভিন্ন উৎসজাত অন্যান্য শাখাগুলো থেকে অতীতে বিলুপ্ত হয়ে যাওয়ার পর বর্তমানে বিদ্যমান শিম্পাঞ্জি ও গরিলা থেকে আলাদা ধারা বা বংশানুক্রম তৈরি করেছে। সে হিসেবে মানুষ আধুনিক নরবানরগুলোর সাথে সম্পর্কযুক্ত হলেও সরাসরি উত্তরসূরী নয়। মানুষ আসলে এসেছে বহুদিন আগে বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া এক ধরনের সাধারণ পূর্বপুরুষ হিসেবে কথিত প্রাইমেট থেকে। আধুনিক মানুষ বা হোমো স্যাপিয়েন্স প্রজাতি বা হোমো স্যাপিয়েন্স স্যাপিয়েন্স উপপ্রজাতি সকল মহাদেশ ও বড় দ্বীপগুলোতে বসতি স্থাপন করে; তারা ১২৫,০০০-৬০,০০০ বছর পূর্বে ইউরেশিয়ায়, ৪০,০০০ বছর পূর্বে অস্ট্রেলিয়ায়, ১৫,০০০ বছর পূর্বে আমেরিকায় এবং হাওয়াই, ইস্টার আইল্যান্ড, মাদাগাস্কার ও নিউজিল্যান্ডসহ দূরবর্তী দ্বীপসমূহে ৩০০ থেকে ১২৮০ খ্রিষ্টাব্দে পৌঁছে।
0.5
5,968.655573
20231101.bn_1525_4
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%81%E0%A6%B7
মানুষ
বানর থেকে মানুষের উদ্ভব হয়নি, বরং সঠিকভাবে বলতে গেলে বলা যায় যে, প্রাকৃতিক নির্বাচনের মাধ্যমে মানুষ প্রজাতিরও উদ্ভব ঘটেছে বহুদিন আগে বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া এক ধরনের প্রাইমেট থেকে। শিম্পাঞ্জি, গরিলা এবং ওরাং ওটাং (বনমানুষ)-এর মতো প্রাণীকূলেরও উদ্ভব ঘটেছে সেই একই সাধারণ পূর্বপুরুষ থেকে। প্রাণের বিকাশ এবং বিবর্তনকে একটা বিশাল গাছের সাথে তুলনা করা যায়। একই পূর্বপূরুষ থেকে উদ্ভূত হয়ে বিবর্তনীয় জাতিজনি বৃক্ষের বিভিন্ন ডাল পালা তৈরি হয়েছে । এর কোন ডালে হয়তো শিম্পাঞ্জির অবস্থান, কোন ডালে হয়ত গরিলা আবার কোন ডালে হয়ত মানুষ। অর্থাৎ, একসময় তাদের সবার এক সাধারণ পূর্বপুরুষ ছিলো, ১.৪ কোটি বছর আগে তাদের থেকে একটি অংশ বিবর্তিত হয়ে ওরাং ওটাং প্রজাতির উদ্ভব ঘটে। তখন, যে কারণেই হোক, এই পূর্বপুরুষের বাকি জনপুঞ্জ নতুন প্রজাতি ওরাং ওটাং এর থেকে প্রজননগতভাবে আলাদা হয়ে যায় এবং তার ফলে এই দুই প্রজাতির বিবর্তন ঘটতে শুরু করে তাদের নিজস্ব ধারায়। আবার প্রায় ৯০ লক্ষ বছর আগে সেই মুল প্রজাতির জনপুঞ্জ থেকে আরেকটি অংশ বিচ্ছিন্ন হয়ে এবং পরবর্তিতে ভিন্ন ধারায় বিবর্তিত হয়ে গরিলা প্রজাতির উৎপত্তি ঘটায়। একইভাবে দেখা যায় যে, ৬০ লক্ষ বছর আগে এই সাধারণ পুর্বপুরুষের অংশটি থেকে ভাগ হয়ে মানুষ এবং শিম্পাঞ্জির বিবর্তন ঘটে। তারপর এই দুটো প্রজাতি প্রজননগতভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। তখন থেকেই একদিকে স্বতন্ত্র গতিতে এবং নিয়মে মানুষের প্রজাতির বিবর্তন ঘটতে শুরু করে, আর ওদিকে আলাদা হয়ে যাওয়া শিম্পাঞ্জির সেই প্রজাতিটি ভিন্ন গতিতে বিবর্তিত হতে হতে আজকের শিম্পাঞ্জিতে এসে পৌঁছেছে।
0.5
5,968.655573
20231101.bn_1525_5
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%81%E0%A6%B7
মানুষ
গরিলা, শিম্পাঞ্জী এবং হোমিনিন বংশের মধ্যে পার্থক্যের সামান্য পরিমাণ জীবাশ্ম প্রমাণ রয়েছে। হোমিনিন বংশের সদস্য হিসাবে প্রস্তাবিত প্রাচীন জীবাশ্মগুলি ছিল স্যালেনথ্রোপাস টিচডেনেসিস ৭ মিলিয়ন বছর আগের, অর্রোরিন টিউগেনেসিস ৫ কোটি ৭০ লক্ষ বছর আগের এবং আর্দিপীথেকাস কাদাব্বা ছিল ৫.৬ মিলিয়ন বছর আগের । এই প্রতিটি প্রজাতির হোমিনিনদের দ্বিপদী পূর্বপুরুষদের সাথে যুক্ত করা হয়েছে, কিন্তু এই ধরনের সব দাবী অনেক বিরোধিতার সম্মুখীন হয়েছিল । এটাও সম্ভব যে এই তিনটি শাখার যেকোনো একটি আফ্রিকান এপস এর অন্য শাখার পূর্বপুরুষ, অথবা একটি পূর্বপুরুষ হোমিনিন এবং অন্যান্য আফ্রিকান হোমোনয়েডিয়ার (এপস) সাথে ভাগ করে নিয়েছে । এই প্রাথমিক জীবাশ্ম প্রজাতি এবং হোমিনিন বংশের মধ্যে সম্পর্কের প্রশ্ন এখনো সমাধান করা সম্ভব হয়নি । এই প্রারম্ভিক প্রজাতিগুলি থেকে প্রায় ৪ মিলিয়ন বছর আগে অস্ট্রালোপিথেসিন্স উদ্ভূত হয় যা পরে বিভিন্ন শাখায় বিভক্ত হয়ে পড়েছিল (প্যারানথ্রোপাস নামেও পরিচিত)। সম্ভবত তাদের মধ্যে একটি শাখা হল ২৫ মিলিয়ন বছর আগের অস্ট্রালোপিথেসিন্স গর্হী, একে জেনাস হোমোর সরাসরি পূর্বপুরুষ বলে ধারণা করা হয়।
0.5
5,968.655573
20231101.bn_1525_6
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%81%E0%A6%B7
মানুষ
হোমো প্রজাতির প্রাথমিক সদস্য হোমো হ্যাবিলিস ২.৪ মিলিয়ন বছর পূর্বে বিকশিত হয়েছিল। হোমো হ্যাবিলিস প্রথম প্রজাতি হিসাবে বিবেচনা করা হয়েছে কারণ তারা যে পাথরের সরঞ্জাম ব্যবহার করত তার সুস্পষ্ট প্রমাণ আছে । সম্প্রতি ২০১৫ সালে, উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় কেনিয়াতে যে পাথরের সরঞ্জামগুলি পাওয়া গেছে তা সম্ভবত হোমো হ্যাবিলিসের পূর্বাভাস দিয়েছে যেগুলি প্রায় ৩.৩ মিলিয়ন বছর বয়স পুরাতন ছিল। তবুও, হোমো হ্যাবিলিসের মস্তিষ্কগুলি শিম্পাঞ্জীর মতো একই আকারের ছিল এবং তাদের প্রধান অভিযোজন ছিল পার্থিব জীবনযাত্রার অভিযোজন হিসেবে বাইপেডালিজম (দুপায়ে চলাফেরা করা) । পরের মিলিয়ন বছরে এন্সিফালিজেশন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল এবং জীবাশ্ম রেকর্ড অনুযায়ী হোমো ইরেক্টাস এর আগমন ঘটেছিল যাদের করোটির ক্ষমতা দ্বিগুণ ছিল। হোমো ইরেক্টাস ছিল প্রথম হোমোনিনা যারা আফ্রিকা ছেড়েছিল এবং এই প্রজাতিগুলি আফ্রিকা, এশিয়া এবং ইউরোপের মধ্যে ১.৩ থেকে ১.৮ মিলিয়ন বছর আগে ছড়িয়ে পড়েছিল। এইচ. ইরেক্টাসের একটি জনগোষ্ঠীকে কখনও কখনও একটি পৃথক প্রজাতি হোমো এরগ্যাস্টার হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ করা হয় যারা আফ্রিকায় থাকত এবং পরে হোমো স্যাপিয়েন্সে পরিণত হয়েছিল। বিশ্বাস করা হয় যে তারাই প্রথম অগ্নি এবং জটিল সরঞ্জাম ব্যবহার করত। হোমো এরগ্যাস্টার / ইরেক্টাস এবং আর্কাইক মানুষেরা যেমন হোমো রোডেসিয়েন্সিস আফ্রিকা থেকে এসেছিল, কিন্তু জর্জিয়ার দুমানসিতে তাদের transitional ফর্মগুলি পাওয়া গিয়েছিল। আফ্রিকান হোমো ইরেক্টাস এর বংশধররা ৫০০,০০০ বৎসর পূর্বে ইউরেশিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছিল পরে তারা পর্যায়ক্রমে হোমো এন্টিসেসর, হোমো হাইডেলবার্গেনসিস এবং হোমো নিয়ানডার্টালেনসিস এ বিবর্তিত হয়েছিল । আধুনিক মানুষের প্রাচীন জীবাশ্ম মধ্য পেলিওলিথিক প্রায় ২০০,০০০ বছর আগে যেমন ওমো ইথিওপিয়া অবশিষ্ট আছে এবং হার্টোর জীবাশ্মকে কখনও কখনও হোমো স্যাপিয়েন্স ইডাল্টু হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়। পরবর্তীকালে ফিলিস্তিন এবং দক্ষিণ ইউরোপ থেকে যে স্কাল বা আর্কাইক হোমো স্যাপিয়েন্সের জীবাশ্ম পাওয়া যায় তা প্রায় ৯০,০০০ বছর আগের ছিল।
0.5
5,968.655573
20231101.bn_1525_7
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%81%E0%A6%B7
মানুষ
২০১৯ সালের অক্টোবরে প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদন অনুযায়ী আধুনিক মানুষ প্রায় ২ লক্ষ বছর আগে আফ্রিকা থেকে যাত্রা শুরু করেছিল এবং এর উৎপত্তিস্থল ছিল বতসোয়ানা
1
5,968.655573
20231101.bn_1525_8
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%81%E0%A6%B7
মানুষ
মানব বিবর্তনটি বেশ কিছু মস্তিষ্কগত, উন্নয়নমূলক, শারীরবৃত্তীয় এবং আচরণগত পরিবর্তনের দ্বারা চিহ্নিত করা হয়েছে যা মানুষ এবং শিম্পাঞ্জিদের শেষ সাধারণ পূর্বপুরুষের মধ্যে সংগঠিত হয়েছিল। এই অভিযোজনগুলির মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হল ১. দুপায়ে হাঁটা , ২. বর্ধিত মস্তিষ্কের আকার, ৩. দীর্ঘ অন্টোজেনি (গর্ভাবস্থা এবং শিশুকাল), ৪. যৌন দ্বিমাত্রিকতা (নিউটেনি)। এই সব পরিবর্তনগুলির মধ্যে সম্পর্ক চলমান বিতর্কের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। অন্যান্য উল্লেখযোগ্য অঙ্গসংস্থানসংক্রান্ত পরিবর্তনগুলির মধ্যে ক্ষমতার বিবর্তন এবং নির্ভুল গ্রিপ অন্তর্ভুক্ত ছিল, একটি পরিবর্তন এইচ.ইরেক্টাসের মধ্যে ঘটেছিল।
0.5
5,968.655573
20231101.bn_1525_9
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%81%E0%A6%B7
মানুষ
বাইপেডালিজম হচ্ছে হোমিনিন লাইনের মৌলিক অ্যাডাপটিশন, এবং এটিকে সকল বাইপেডাল হোমিনিনদের কঙ্কাল পরিবর্তনের পিছনে একটি প্রধান কারণ বলে মনে করা হয়। প্রাচীনতম দ্বিপদীয় হোমিনিনকে বলা হয় সাহেলানথ্রপাস বা অর্রোরিন, আর্ডিপিথেকাস হল একটি পূর্ণ বাইপেডাল যা কিছুটা পরে ঘটেছিল। গরিলা এবং শিম্পাঞ্জি একই সময়ের মধ্যে পরিবর্তিত হয়ে গিয়েছিল। এবং সাহেলানথ্রপাস বা অর্রোরিন হতে পারে মানুষের পূর্বপুরুষ যারা ঐসব প্রাণীদের সাথে মিল ছিল । প্রাথমিকভাবে দ্বিপদলগুলি অস্ট্রালোপিথেসিন্স যা পরবর্তীতে জেনাস হোমোতে রূপান্তরিত হয়েছিল। বাইপেডালিজমের অভিযোজনীয় মূল্যের বেশ কিছু তত্ত্ব রয়েছে। এটা সম্ভব যে বাইপেডালিজম অনুকূলে ছিল কারণ এটি পৌঁছানোর এবং খাদ্য বহন করার জন্য হাতকে মুক্ত করে দিয়েছিল । কারণ এটি চলন্ত অবস্থায় শক্তি সংরক্ষণ করেছিল যা তাদেরকে দীর্ঘ পথ চলতে এবং শিকার করতে সক্ষম করেছিল। অথবা সরাসরি সূর্যের উদ্ভাসিত পৃষ্ঠকে হ্রাস করে হাইপারথারমিয়া এড়িয়ে যাওয়ার কৌশল হিসেবে মনে করা যেতে পারে।
0.5
5,968.655573
20231101.bn_1525_10
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%81%E0%A6%B7
মানুষ
মানব প্রজাতির মস্তিষ্ক অন্য প্রাইমেটদের তুলনায় অনেক বড় হয়ে থাকে - সাধারণত আধুনিক মানুষের মধ্যে ১,৩৩০ সেন্টিমিটার যা শিম্পাঞ্জি বা গরিলার মস্তিষ্কের আকারের দ্বিগুণ। এনসেফালাইজেশনের প্যাটার্নটি হোমো হ্যাবিলিসের সাথে শুরু হয়েছিল যা প্রায় ৬০০ সেন্টিমিটার শিম্পাঞ্জির চেয়ে বড় মস্তিষ্ক ছিল এবং হোমো ইরেক্টাস (৮০০-১,১০০ সেমি ) এবং এটি সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছিল গড় সাইজের ১,৩০০-১,৯০০ সেন্টিমিটার যা নিনদারথালস এর মস্তিষ্ক ছিল যা কিনা হোমো স্যাপিয়েন্সের চেয়েও বড় (কিন্তু কম স্বস্তিযুক্ত)।
0.5
5,968.655573
20231101.bn_1525_11
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%81%E0%A6%B7
মানুষ
মানবজাতির জন্মকালীন মস্তিষ্কের বৃদ্ধির প্যাটার্নটি অন্যান্য এপস (হিট্রোক্রনি) থেকে পৃথক যা অল্পবয়স্ক মানুষের মধ্যে সামাজিক শিক্ষা ও ভাষা শিক্ষার জন্য বর্ধিত সময়ের সুযোগ করে দেয় । যাইহোক, মানুষের মস্তিষ্ক এবং অন্যান্য এপসের কাঠামোর মধ্যে পার্থক্যগুলি মাপের পার্থক্যগুলির তুলনায় আরো বেশি গুরুত্ব বহন করে। সময়ভিত্তিক ভলিউম বৃদ্ধির ফলে মস্তিষ্কের বিভিন্ন এলাকায় অসমভাবে প্রভাব পড়েছে - ভাষাগত প্রক্রিয়াগুলির জন্য কেন্দ্রগুলির অন্তর্গত সাময়িক লোবগুলি অপরিসীমভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, যেমন প্রিফ্রন্টাল কর্টেক্স রয়েছে যা জটিল সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং সামাজিক আচরণ নিয়ন্ত্রণের সাথে সম্পর্কিত। এনসেফালাইজেশন খাদ্য হিসাবে মাংসের উপর বাড়তি জোর দেওয়া হয়েছিল বা রান্নার বিকাশ ঘটেছিল, এবং ধারণা করা হয় যে মানব সমাজ আরো জটিল হয়ে উঠায় সামাজিক সমস্যা সমাধানের জন্য বুদ্ধিমত্তা বৃদ্ধি পেয়েছিল।
0.5
5,968.655573
20231101.bn_5126_4
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%BE
মালয়েশিয়া
মালয়েশিয়ার দশম প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম। ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে তিনি দেশটির বর্তমান প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন।
0.5
5,876.604458
20231101.bn_5126_5
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%BE
মালয়েশিয়া
মালয়েশিয়ার অর্থনীতি অপেক্ষাকৃত মুক্ত কিন্তু রাষ্ট্রকেন্দ্রিক। বর্তমানে মালয়েশিয়া একটি উঠতি শিল্পউন্নত বাজার অর্থনীতি বলে বিবেচিত। সরকার বিভিন্ন ম্যাক্রো-অর্থনৈতিক পরিকল্পনার মাধ্যমে দেশটির অর্থনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। যদিও এই প্রভাব দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে। মালয়েশিয়ার অর্থনীতি মূলত মুক্তবাজার অর্থনীতি। চীন , সিঙ্গাপুর ও আমেরিকা দেশটির প্রধান বাণিজ্য সহযোগী দেশ।
0.5
5,876.604458
20231101.bn_5126_6
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%BE
মালয়েশিয়া
মালয়েশিয়া আসিয়ান এবং ওআইসি এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য।এছাড়াও জাতিসংঘ, জোট নিরপেক্ষ আন্দোলন (ন্যাম) এবং কমনওয়েলথ এর সক্রিয় সদস্য হিসেবে মালয়েশিয়ার সরব উপস্থিতি রয়েছে। মালয়েশিয়ার বৈদেশিক নীতি নিরপেক্ষতা এবং বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে প্রাধান্য দিয়ে থাকে। মুসলিম প্রধান দেশ হিসেবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মুসলিম দেশ এবং বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলের মুসলিম দেশগুলোর সাথে সম্পর্ক বৃদ্ধিতে দেশটি বদ্ধ পরিকর। এছাড়াও ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে জাতীয় সম্পদ বা জাতীয় যে কোন ইস্যুতে মালয়েশিয়ার ভূমিকা অত্যন্ত দৃঢ়।
0.5
5,876.604458
20231101.bn_5126_7
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%BE
মালয়েশিয়া
ফিলিস্তিনের সাথে মালয়েশিয়ার সম্পর্ক অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ এবং ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা আন্দোলনকে মালয়েশিয়া নৈতিক সমর্থন দিয়ে আসছে । দখলদার ইসরায়েলী সৈন্যদের সকল প্রকার নির্যাতন,আক্রমণ এবং ফিলিস্তিনের প্রতি ইসরায়েলের দমন-পীড়নমূলক নীতিকে মালয়েশিয়া সুস্পষ্টভাবে প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে।
0.5
5,876.604458
20231101.bn_5126_8
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%BE
মালয়েশিয়া
মালয় ভাষা মালয়েশিয়ার সরকারি ভাষা। এখানকার প্রায় অর্ধেক সংখ্যক লোক মালয় ভাষাতে কথা বলে। মালয়েশিয়াতে আরও প্রায় ১৩০টি ভাষা প্রচলিত। এদের মধ্যে চীনা ভাষার বিভিন্ন উপভাষা, বুগিনীয় ভাষা, দায়াক ভাষা, জাভানীয় ভাষা এবং তামিল ভাষা উল্লেখযোগ্য। বাজার মালয় ভাষা বহুজাতিক বাজারের ভাষা হিসেবে প্রচলিত এবং সাবাহ প্রদেশে সার্বজনীন ভাষা বা লিঙ্গুয়া ফ্রাংকা হিসেবে ব্যবহৃত।
1
5,876.604458
20231101.bn_5126_9
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%BE
মালয়েশিয়া
আনুষ্ঠানিক ভাষা বাহাসা মালয়েশিয়া। তবে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মানুষ নিজ নিজ ভাষায়কথা বলে। দ্বিতীয় ভাষা হিসেবে স্কুল পর্যায় থেকেই ইংরেজি শেখানো হয়। দৈনন্দিন যোগাযোগ এবং ব্যবসায়িক প্রয়োজনে ইংরেজির বহুল ব্যবহার আছে।
0.5
5,876.604458
20231101.bn_5126_10
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%BE
মালয়েশিয়া
দাপ্তরিকভাবে মালয়েশিয়া একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র হলেও ইসলাম এর আনুষ্ঠানিক ধর্ম। মালয়েশিয়ার মোট জনসংখ্যার প্রায় ৬৩% ইসলাম ধর্মাবলম্বী। পাশাপাশি ১৯.৮% লোক বৌদ্ধ, ৯.২% লোক খ্রিষ্টান, ৬.৩% লোক হিন্দু এবং বাকিরা অন্যান্য ধর্ম পালন করে থাকে। সকল ধর্মের মানুষ নিজ নিজ ধর্মীয় আচার-আচরণ পালন করার স্বাধীনতা ভোগ করতে পারেন এখানে।
0.5
5,876.604458
20231101.bn_5126_11
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%BE
মালয়েশিয়া
মালয়েশিয়ায় সুন্নী মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ । মালয়েশিয়া শরিয়াহ ভিত্তিক সকল কাজে ‘শাফেয়ী’ মাযহাবের অনুসরন করে থাকে।
0.5
5,876.604458
20231101.bn_5126_12
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%BE
মালয়েশিয়া
ইসলাম ধর্মীয় বিভিন্ন বিষয় আলোচনা কিংবা যেকোন ধরনের সমস্যা নিষ্পত্তিতে ‘শরীয়াহ আদালত’র সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হয়। তবে শরিয়াহ আদালতের কার্যক্রম এবং সিদ্ধান্ত বিয়ে,সম্পত্তির উত্তরাধিকার,বিয়ে বিচ্ছেদ, ধর্মীয় আলোচনা প্রভৃতির মাঝেই সীমাবদ্ধ।
0.5
5,876.604458
20231101.bn_108968_15
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%95%E0%A6%A8%E0%A6%A1%E0%A6%AE
কনডম
১৮৪৪ সালে চার্লস গুডইয়ার তাপপ্রয়োগ করে রবারে গন্ধক মিশিয়ে তা শক্ত করার প্রক্রিয়াটির পেটেন্ট নেন। ১৮৫৫ সালে প্রথম রবার কনডম তৈরি হয়। অনেক দশক ধরে শিশ্নাকৃতি মণ্ডে কাচা রবার মাখিয়ে এবং তারপর রবারকে শোধন করার জন্য মণ্ডটিকে রাসায়নিক দ্রবণে ডুবিয়ে কনডম প্রস্তুত করা হত। ১৯১২ সালে জুলিয়াস ফ্রম নামে এক জার্মান কনডম উৎপাদনের একটি নতুন কৌশল আবিষ্কার করেন: তিনি কাচা রবারের দ্রবণে কাচের মণ্ড ডুবিয়ে কনডম উৎপাদন শুরু করেন। সিমেন্ট ডিপিং নামে পরিচিত এই পদ্ধতিতে রবারকে তরল করতে তার সঙ্গে গ্যাসোলিন বা বেনজিন মেশাতে হত।
0.5
5,857.497652
20231101.bn_108968_16
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%95%E0%A6%A8%E0%A6%A1%E0%A6%AE
কনডম
জলাভেদ্য রবার তরুক্ষীর কনডম আবিষ্কৃত হয় ১৯২০ সালে। সিমেন্ট-ডিপড রবার কনডমের তুলনায় তরুক্ষীর কনডম উৎপাদন প্রক্রিয়া ছিল অনেক সহজ। রবার কনডম ঘষে ঘষে মসৃণ করতে হত। তাছাড়া গ্যাসোলিন ও বেনজিনের বদলে তরুক্ষীর কনডম উৎপাদনে জল ব্যবহারের ফলে কনডম কারখানায় আগুন জ্বালানোর সমস্যার সমাধান হয়। ব্যবহারকারীর ক্ষেত্রেও তরুক্ষীর কনডম অনেক বেশি কার্যকরী: এগুলি রবার কনডমের তুলনায় অনেক শক্ত অথচ পাতলা। ব্যবহার না করা অবস্থায় এগুলি পাঁচ বছর পর্যন্ত রেখে দেওয়া যায়; যেখানে রবার কনডম রাখা যায় মাত্র তিন মাস।
0.5
5,857.497652
20231101.bn_108968_17
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%95%E0%A6%A8%E0%A6%A1%E0%A6%AE
কনডম
১৯২০-এর দশক পর্যন্ত সকল প্রকার কনডমই অর্ধদক্ষ শ্রমিকদের দ্বারা হাতে তৈরি হত। কিন্তু এই দশকে যন্ত্রের মাধ্যমে কনডম উৎপাদন শুরু হয়। ১৯৩০ সালে প্রথম সম্পূর্ণ যন্ত্রচালিত কনডমের পেটেন্ট নেওয়া হয়। ফলত, বড়ো বড়ো কনডম প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলিই কনডম উৎপাদন চালিয়ে যেতে থাকে, ছোটোখাটো সংস্থাগুলি ব্যবসা গুটিয়ে নেয়। তরুক্ষীর কনডমের চেয়ে অনেক বেশি দামী স্কিন কনডমের বাজারও ছোটো হয়ে আসে।
0.5
5,857.497652