_id
stringlengths 17
22
| url
stringlengths 42
314
| title
stringlengths 2
36
| text
stringlengths 100
5.1k
| score
float64 0.5
1
| views
float64 23
11.1k
|
---|---|---|---|---|---|
20231101.bn_7523_39 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%AE%E0%A6%B9%E0%A6%B2 | তাজমহল | সিরাজ, ইরান থেকে মীর আব্দুল করিম এবং মুক্কারিমাত খাঁন, যারা ব্যবস্থাপনা ও আর্থিক দিকগুলো সামাল দিতেন। | 0.5 | 6,591.443625 |
20231101.bn_7523_40 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%AE%E0%A6%B9%E0%A6%B2 | তাজমহল | তাজমহল তৈরি হয়েছে সাড়া এশিয়া এবং ভারত থেকে আনা বিভিন্ন উপাদান সামগ্রী দিয়ে। নির্মাণ কাজের সময় ১,০০০ এরও বেশি হাতি ব্যবহার করা হয়েছিল নির্মাণ সামগ্রী বহন করে আনার জন্য। আলো-প্রবাহী অস্বচ্ছ সাদা মার্বেল পাথর আনা হয়েছিল রাজস্থান থেকে, ইয়াশ্ব্- লাল, হলুদ বা বাদামী রঙের মধ্যম মানের পাথর আনা হয়েছেল পাঞ্জাব থেকে। চীন থেকে আনা হয়েছিল ইয়াশ্ম্- কঠিন, সাধা, সবুজ পাথর, স্ফটিক টুকরা। তিব্বত থেকে বৈদূর্য সবুজ-নীলাভ (ফিরোজা) রঙের রত্ন এবং আফগানিস্তান থেকে নীলকান্তমণি আনা হয়েছিল। নীলমণি- উজ্জ্বল নীল রত্ন এসেছিল শ্রীলঙ্কা এবং রক্তিমাভাব, খয়েরি বা সাদা রঙের মূল্যবান পাথর এসেছিল আরব থেকে। এ আটাশ ধরনের মহামূল্যবান পাথর সাদা মার্বেল পাথরেরে উপর বসানো রয়েছে। | 0.5 | 6,591.443625 |
20231101.bn_7523_41 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%AE%E0%A6%B9%E0%A6%B2 | তাজমহল | তৎকালীন নির্মাণ খরচ অনুমান করা কঠিন ও কিছু সমস্যার কারণে তাজমহল নির্মাণে কত খরচ হয়েছিল তার হিসাবে কিছুটা হেরফের দেখা যায়। তাজমহল নির্মাণে তৎকালীন আনুমানিক ৩২ মিলিয়ন রুপি খরচ হয়েছিল বলে ধারণা করা হয়। কিন্তু শ্রমিকের খরচ, নির্মাণে যে সময় লেগেছে এবং ভিন্ন অর্থনৈতিক যুগের কারণে এর মূল্য অনেক, একে অমূল্য বলা হয়। | 0.5 | 6,591.443625 |
20231101.bn_7523_42 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%AE%E0%A6%B9%E0%A6%B2 | তাজমহল | তাজমহলের নির্মাণ কাজ শেষ হতে না হতেই শাহ জাহান তার পুত্র আওরঙ্গজেব দ্বারা ক্ষমতাচ্যুত ও আগ্রার কেল্লায় গৃহবন্দি হন। কথিত আছে, জীবনের বাকি সময়টুকু শাহ জাহান আগ্রার কেল্লার জানালা দিয়ে তাজমহলের দিকে স্থির দৃষ্টিতে তাকিয়েই কাটিয়েছিলেন। শাহ জাহানের মৃত্যুর পর আওরঙ্গজেব তাকে তাজমহলে তার স্ত্রীর পাশে সমাহিত করেন। একমাত্র এ ব্যাপারটিই তাজমহলের নকশার প্রতিসমতা নষ্ট করেছে। ১৯ শতকের শেষ ভাগে তাজমহলের একটি অংশ মেরামতের অভাবে খুব খারাপভাবে নষ্ট হয়। ১৮৫৭ সালের সিপাহী বিপ্লবের সময় ইংরেজ সৈন্যরা তাজমহলের বিকৃতি সাধন করে আর সরকারি কর্মচারীরা বাটালি দিয়ে তাজমহলের দেয়াল থেকে মূল্যবান ও দামি নীলকান্তমণি খুলে নেয়। | 1 | 6,591.443625 |
20231101.bn_7523_43 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%AE%E0%A6%B9%E0%A6%B2 | তাজমহল | ১৯ শতকের শেষ দিকে লর্ড কার্জন তাজমহল পুনর্নির্মাণের একটি বড় প্রকল্প হাতে নেন। প্রকল্পের কাজ ১৯০৮ সালে শেষ হয়। তিনি তাজমহলের ভিতরের মঞ্চে একটি বড় বাতি (যা কায়রো মসজিদে ঝুলানো একটি বাতির অনুকরণে তৈরি করার কথা ছিল কিন্তু তৎকালীন কারিগরেরা ঠিক হুবহু তৈরি করতে পারেনি ) বসিয়েছিলেন। তখনই বাগানের নকশা পরিবর্তন করে ইংরেজ পার্কের মত করে গড়া হয় যা এখনও রয়েছে। | 0.5 | 6,591.443625 |
20231101.bn_7523_44 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%AE%E0%A6%B9%E0%A6%B2 | তাজমহল | বিংশ শতাব্দীতে তাজমহলের ভাল রক্ষণাবেক্ষণ হয়। ১৯৪২ সালে যখন জার্মান বিমান বাহিনী এবং পরে জাপানি বিমান বাহিনী দ্বারা আকাশপথে হামলা চালায় তৎকালীন সরকার তখন তাজমহল রক্ষার জন্য এর উপর একটি ভারা তৈরি করেছিল (ছবি দেখুন)। ১৯৬৫ এবং ১৯৭১ সালে পাকিস্তান-বাংলাদেশ যুদ্ধের সময় তাজমহলকে ভারা দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছিল যাতে বিমান চালকদের ভ্রম তৈরি করে। কারণ ভারত বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে বিশ্বব্যাপী অকুণ্ঠ সমর্থন জুগিয়েছিল । | 0.5 | 6,591.443625 |
20231101.bn_7523_45 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%AE%E0%A6%B9%E0%A6%B2 | তাজমহল | তাজমহল সম্প্রতি যে হুমকির মুখে পড়েছে তা হল যমুনা নদীর তীরের পরিবেশ দূষণ। সাথে আছে মাথুরাতে তেল পরিশোধনাগারের কারণে সৃষ্ট এসিড বৃষ্টি (যা ভারতীয় উচ্চ আদালত নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে)। | 0.5 | 6,591.443625 |
20231101.bn_7523_46 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%AE%E0%A6%B9%E0%A6%B2 | তাজমহল | নির্মাণের পর থেকেই তাজমহল বহু পর্যটককে আকর্ষিত করেছে। এমনকি তাজমহলের দক্ষিণ পাশে ছোট শহর তাজ গঞ্জি বা মুমতাজাবাদ আসলে গড়ে তোলা হয়েছিল পর্যটকদের জন্য সরাইখানা ও বাজার তৈরির উদ্দেশ্যে যাতে পর্যটক এবং কারিগরদের চাহিদা পূরণ হয়। | 0.5 | 6,591.443625 |
20231101.bn_1100_14 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9A%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%AE | চট্টগ্রাম | ১৫৮১ সাল থেকে ১৬৬৬ সাল পর্যন্ত চট্টগ্রাম সম্পূর্ণভাবে আরাকানের রাজাদের অধীনে শাসিত হয়। তবে পর্তুগিজ জলদস্যুদের দৌরাত্ম্য এ সময় খুবই বৃদ্ধি পায়। বাধ্য হয়ে আরাকান রাজা ১৬০৩ ও ১৬০৭ সালে শক্ত হাতে পর্তুগিজদের দমন করেন। ১৬০৭ সালেই ফরাসি পরিব্রাজক ডি লাভাল চট্টগ্রাম সফর করেন। তবে সে সময় পর্তুগিজ জলদস্যু গঞ্জালেস সন্দ্বীপ দখল করে রেখেছিলেন। পর্তুগিজ মিশনারি পাদ্রি ম্যানরিক ১৬৩০-১৬৩৪ সময়কালে চট্টগ্রামে উপস্থিতকালে চট্টগ্রাম শাসক আলামেনের প্রশংসা করে যান। ১৬৬৬ সালে চট্টগ্রাম মুঘলদের হস্তগত হয়। | 0.5 | 6,539.119501 |
20231101.bn_1100_15 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9A%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%AE | চট্টগ্রাম | চট্টগ্রামে আরাকানি শাসন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। চট্টগ্রাম আরাকানিদের কাছ থেকে অনেক কিছুই গ্রহণ করে। জমির পরিমাণে মঘী কানির ব্যবহার এখনো চট্টগ্রামে রয়েছে। মঘী সনের ব্যবহারও দীর্ঘদিন প্রচলিত ছিল। সে সময়ে আরাকানে মুসলিম জনবসতি বাড়ে। আরকান রাজসভায় মহাকবি আলাওল, দৌলত কাজী এবং কোরেশী মাগণ ঠাকুর এর মতো বাংলা কবিদের সাধনা আর পৃষ্ঠপোষকতায় সেখানে বাংলা সাহিত্যের প্রভূত উন্নতি হয়। পদ্মাবতী আলাওলের অন্যতম কাব্য। | 0.5 | 6,539.119501 |
20231101.bn_1100_16 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9A%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%AE | চট্টগ্রাম | ১৬৬৬ সালে মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেব বাংলার সুবেদার শায়েস্তা খানকে চট্টগ্রাম দখলের নির্দেশ দেন। সুবেদারের পুত্র উমেদ খানের নেতৃত্বে কর্ণফুলী নদীর মোহনায় আরাকানিদের পরাজিত করেন এবং আরাকানি দুর্গ দখল করেন। যথারীতি পর্তুগিজরা আরাকানিদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে মুঘলদের পক্ষ নেয়। মুঘল সেনাপতি উমেদ খান চট্টগ্রামের প্রথম ফৌজদারের দায়িত্ব পান। শুরু হয় চট্টগ্রামে মুঘল শাসন। তবে মুঘলদের শাসনামলের পুরোটা সময় আরাকানিরা চট্টগ্রাম অধিকারের চেষ্টা চালায়। টমাস প্রাট নামে এক ইংরেজ আরাকানিদের সঙ্গে যোগ দিয়ে মুঘলদের পরাজিত করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। কোলকাতার গোড়াপত্তনকারী ইংরেজ জব চার্নকও ১৬৮৬ সালে চট্টগ্রাম বন্দর দখলের ব্যর্থ অভিযান চালান। ১৬৮৮ সালে ক্যাপ্টেন হিথেরও অনুরূপ অভিযান সফল হয় নি। ১৬৭০ ও ১৭১০ সালে আরাকানিরা চট্টগ্রামের সীমান্তে ব্যর্থ হয়। | 0.5 | 6,539.119501 |
20231101.bn_1100_17 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9A%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%AE | চট্টগ্রাম | ১৭২৫ সালে প্রায় ৩০ হাজার মগ সৈন্য চট্টগ্রামে ঢুকে পড়ে চট্টগ্রামবাসীকে বিপদাপন্ন করে তোলে। তবে শেষ পর্যন্ত বাংলার নবাব তাদের তাড়িয়ে দিতে সক্ষম হন। এই সময় বাংলার নবাবদের কারণে ইংরেজরা চট্টগ্রাম বন্দর কোনভাবেই দখল করতে পারেনি। বাংলার নবাবরা পার্বত্য এলাকার অধিবাসীদের সঙ্গে, বিশেষ করে চাকমা সম্প্রদায়ের সঙ্গে চুক্তির মাধ্যমে সদ্ভাব বজায় রাখেন। | 0.5 | 6,539.119501 |
20231101.bn_1100_18 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9A%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%AE | চট্টগ্রাম | পলাশীর যুদ্ধে বাংলার নবাব সিরাজউদ্দৌলার পরাজয়ের পর ইংরেজরা চট্টগ্রাম বন্দরের জন্য নবাব মীর জাফরের ওপর চাপ সৃষ্টি করে। তবে, মীর জাফর কোনভাবেই ইংরেজদের চট্টগ্রাম বন্দরের কর্তৃত্ব দিতে রাজি হন নি। ফলে, ইংরেজরা তাকে সরিয়ে মীর কাশিমকে বাংলার নবাব বানানোর ষড়যন্ত্র করে। ১৭৬১ সালে মীর জাফরকে অপসারণ করে মীর কাশিম বাংলার নবাব হয়ে ইংরেজদের বর্ধমান, মেদিনীপুর ও চট্টগ্রাম হস্তান্তরিত করেন। চট্টগ্রামের শেষ ফৌজদার রেজা খান সরকারিভাবে চট্টগ্রামের শাসন প্রথম ইংরেজ চিফ ভেরেলস্ট-এর হাতে সমর্পণ করেন। শুরু হয় ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসন। | 1 | 6,539.119501 |
20231101.bn_1100_19 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9A%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%AE | চট্টগ্রাম | কোম্পানির শাসনামলে চট্টগ্রামবাসীর ওপর করারোপ দিনে দিনে বাড়তে থাকে। তবে ১৮৫৭ সালের আগে চাকমাদের বিদ্রোহ আর সন্দ্বীপের জমিদার আবু তোরাপের বিদ্রোহ ছাড়া ইংরেজ কোম্পানিকে তেমন একটা কঠিন সময় পার করতে হয়নি। সন্দ্বীপের জমিদার আবু তোরাপ কৃষকদের সংগঠিত করে ইংরেজদের প্রতিরোধ করেন। কিন্তু ১৭৭৬ সালে হরিষপুরের যুদ্ধে তিনি পরাজিত ও নিহত হলে সন্দ্বীপের প্রতিরোধ ভেঙ্গে পড়ে। অন্যদিকে ১৭৭৬ থেকে ১৭৮৯ সাল পর্যন্ত চাকমারা প্রবল প্রতিরোধ গড়ে তোলে। সম্মুখ সমরে চাকমাদের কাবু করতে না পেরে ইংরেজরা তাদের বিরুদ্ধে কঠিন অর্থনৈতিক অবরোধ দিয়ে শেষ পর্যন্ত চাকমাদের কাবু করে। | 0.5 | 6,539.119501 |
20231101.bn_1100_20 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9A%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%AE | চট্টগ্রাম | ইংরেজরা আন্দরকিল্লা জামে মসজিদকে গোলাবারুদের গুদামে পরিণত করলে চট্টগ্রামবাসী ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। মসজিদের জন্য নবাবি আমলে প্রদত্ত লাখেরাজ জমি ১৮৩৮ সালের জরিপের সময় বাজেয়াপ্ত করা হয়। পরে চট্টগ্রামের জমিদার খান বাহাদুর হামিদুল্লাহ খান কলিকাতায় গিয়ে গভর্নরের কাছে আবেদন করে এটি উদ্ধার করার ব্যবস্থা করেন। | 0.5 | 6,539.119501 |
20231101.bn_1100_21 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9A%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%AE | চট্টগ্রাম | ১৮৫৭ সালের সিপাহি বিপ্লবের সময় পুরো ভারতবর্ষের বিদ্রোহের ঢেউ চট্টগ্রামেও ছড়িয়ে পড়ে। ৩৪তম বেঙ্গল পদাতিক রেজিমেন্টের ২য়, ৩য় ও ৪র্থ কোম্পানীগুলি তখন চট্টগ্রামে মোতায়েন ছিল। ১৮ নভেম্বর রাতে উল্লিখিত তিনটি কোম্পানী হাবিলদার রজব আলীর নেতৃত্বে বিদ্রোহী হয়ে ওঠে। তারা ব্রিটিশ জেলখানায় আক্রমণ করে সকল বন্দীকে মুক্ত করে। সিপাহী জামাল খান ছিলেন রজব আলীর অন্যতম সহযোগী। সিপাহিরা ৩টি সরকারি হাতি, গোলাবারুদ ও প্রয়োজনীয় অন্যান্ন রসদ নিয়ে চট্টগ্রাম ত্যাগ করে। তারা পার্বত্য ত্রিপুরার সীমান্ত পথ ধরে এগিয়ে সিলেট ও কাছাড়ে পৌঁছে। স্বাধীনতাকামী হিসেবে ত্রিপুরা রাজের সমর্থন কামনা করেন কিন্তু ত্রিপুরা রাজ ইংরেজদের হয়ে তাদের বাঁধা দেন। একই অবস্থা হয় আরো বিভিন্ন যায়গায়। এভাবে বিভিন্ন স্থানে লড়াই করতে গিয়ে একসময় রসদের অভাবে বিদ্রোহীরা শক্তিহীন হয়ে পড়ে। শেষে ১৮৫৮ সালের ৯ জানুয়ারি সিলেটের মনিপুরে ইংরেজ বাহিনীর সঙ্গে এক লড়াই-এই বিদ্রোহের অবসান হয়। | 0.5 | 6,539.119501 |
20231101.bn_1100_22 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9A%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%AE | চট্টগ্রাম | ১৮৬৩ সালের ২২শে জুন চট্টগ্রাম মিউনিসিপ্যালিটি'র যাত্রা শুরু। তবে এর প্রশাসন ও কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ১৮ জন কমিশনার সমন্বয়ে পরিষদ গঠন করা হয় ১৮৬৪ সালে। ঐসময়ে চট্টগ্রাম শহরের সাড়ে চার বর্গমাইল এলাকা মিউনিসিপ্যালিটির আওতাধীন ছিল। প্রথমে ৪টি ওয়ার্ড থাকলেও ১৯১১ সালে ৫টি ওয়ার্ড সৃষ্টি করা হয়। চট্টগ্রাম মিউনিসিপ্যালিটি ১৯৮২ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর সিটি কর্পোরেশনে রুপান্তরিত হয়। বর্তমানে ওয়ার্ড সংখ্যা ৪১টি। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন এলাকায় পৌর এলাকা পরিচালনার করে। এর নেতৃত্বে আছেন চট্টগ্রামের মেয়র। চট্টগ্রাম শহর এলাকা চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন-এর অধীনস্থ। শহরবাসীদের সরাসরি ভোটে সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এবং ওয়ার্ড কমিশনারগণ নির্বাচিত হন। প্রতি পাঁচ বছর অন্তর মেয়র ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। ফেব্রুয়ারি ২০২১ অনুযায়ী, বর্তমান মেয়র হলেন আওয়ামী লীগ নেতা রেজাউল করিম চৌধুরী। সিটি কর্পোরেশনের ম্যান্ডেট মৌলিক নাগরিক পরিষেবাগুলির মধ্যে সীমাবদ্ধ, তবে, চট্টগ্রামকে বাংলাদেশের অন্যতম পরিচ্ছন্ন এবং সবচেয়ে পরিবেশ-বান্ধব শহর রাখার জন্য চসিকের কৃতিত্ব রয়েছে৷ চসিকের রাজস্বের প্রধান উৎস হল মিউনিসিপ্যাল ট্যাক্স এবং কনজারভেন্সি চার্জ। নগরীর নগর পরিকল্পনা বাস্তবায়নের দায়িত্ব চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের। | 0.5 | 6,539.119501 |
20231101.bn_1347_55 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%A8 | জাপান | ২০১৪ ইস অফ ডুইং বিজনেস ইনডেক্স অনুসারে, ১৮৯টি দেশের মধ্যে জাপানের স্থান ২৭তম। এই দেশ উন্নত বিশ্বের ক্ষুদ্রতম আয়কর দাতা দেশগুলির একটি। জাপানের ধনতন্ত্রের অনেকগুলি স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য রয়েছে: কেইরেৎসু সংস্থাগুলি প্রভাবশালী, জাপানের কার্য পরিবেশে স্থায়ী নিয়োগ ও অভিজ্ঞতা-ভিত্তিক কর্মজীবনের প্রাধান্য গুরুত্ব পায়। জাপানি কোম্পানিগুলি "টোয়োটা ওয়ে" নামে পরিচিত ব্যবস্থাপন পদ্ধতির জন্য পরিচিত। এখানে শেয়ারহোল্ডার কার্যকারিতা খুব কমই দেখা যায়। | 0.5 | 6,507.028306 |
20231101.bn_1347_56 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%A8 | জাপান | জাপানের কয়েকটি বড়ো সংস্থা হল টয়োটা, নিন্টেন্ডো, এনটিটি ডোকোমো, ক্যানন, হোন্ডা, টাকেডা ফার্মাকিউটিক্যাল, সনি, নিপ্পন ওয়েল ও সেভেন অ্যান্ড আই হোল্ডিংস কোম্পানি। বিশ্বের কয়েকটি বৃহত্তম ব্যাংক জাপানে অবস্থিত। টোকিও শেয়ার বাজার (নিক্কেই ২২৫ ও টিওপিআইএক্স ইন্ডিসেসের জন্য পরিচিত) মার্কেট ক্যাপিটালাইজেশন অনুসারে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম শেয়ার বাজার। ২০০৬ সালের হিসেব অনুসারে, জাপান ফোর্বস গ্লোবাল ২০০০ থেকে ৩২৬টি কোম্পানির দেশ, যার শতাংশ হার ১৬.৩। ২০১৩ সালে ঘোষণা করা হয়, জাপান শেল প্রাকৃতিক গ্যাস আমদানি করবে। | 0.5 | 6,507.028306 |
20231101.bn_1347_57 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%A8 | জাপান | বৈজ্ঞানিক গবেষণা, বিশেষত প্রযুক্তি, যন্ত্রবিদ্যা ও বায়োমেডিক্যাল গবেষণায় জাপান একটি অগ্রণী রাষ্ট্র। প্রায় ৭০০,০০০ গবেষক ১৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার গবেষণা ও উন্নয়ন বাজেটের সুবিধা পান এই দেশে। এই বাজেট বিশ্বে তৃতীয় বৃহত্তম। মৌলিক বৈজ্ঞানিক গবেষণাতেও জাপান বিশ্বে অগ্রণী একটি রাষ্ট্র। এই দেশ থেকে একুশ জন বৈজ্ঞানিক পদার্থবিদ্যা, রসায়ন বা চিকিৎসাবিদ্যায় নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। তিন জন ফিল্ডস মেডেল এবং একজন কার্ল ফ্রেডরিক গাস প্রাইজ পেয়েছেন। জাপানের সর্বাপেক্ষা উল্লেখযোগ্য প্রযুক্তিগত অবদানগুলি ইলেকট্রনিকস, অটোমোবাইলস, যন্ত্রবিদ্যা, ভূমিকম্প ইঞ্জিনিয়ারিং, ইন্ডাস্ট্রিয়াল রোবোট, অপটিকস, কেমিক্যালস, সেমিকন্ডাক্টরস ও ধাতুবিদ্যার ক্ষেত্রে রয়েছে। বিশ্বে রোবোটিকস উৎপাদন ও ব্যবহারে জাপান অগ্রণী। ২০১৩ সালের হিসেব অনুসারে, বিশ্বের শিল্প রোবোটগুলির ২০% (১.৩ মিলিয়নের মধ্যে ৩০০,০০০টি) জাপানে নির্মিত। যদিও আগে এই হার আরও বেশি ছিল। ২০০০ সালে সারা বিশ্বে শিল্প রোবোটগুলির অর্ধ্বাংশ ছিল জাপানে নির্মিত। | 0.5 | 6,507.028306 |
20231101.bn_1347_58 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%A8 | জাপান | জাপানের মহাকাশ সংস্থা হল জাপান এয়ারোস্পেস এক্সপ্লোরেশন এজেন্সি (জাক্সা)। এখান থেকে মহাকাশ, ভিন্ন গ্রহ ও বিমান গবেষণার কাজ চলে। রকেট ও উপগ্রহ নির্মাণেও এটি অগ্রণী সংস্থা। জাপান আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে অংশগ্রহণকারী। ২০০৮ সালে স্পেস শাটল অ্যাসেম্বলি ফ্লাইটের সময় সেখানে জাপানিজ এক্সপেরিমেন্ট মডিউল যুক্ত হয়। জাপানের মহাকাশ অভিযানের পরিকল্পনাগুলি হল: শুক্র গ্রহে আকাৎসুকি নামে একটি মহাকাশ যান পাঠানো; ২০১৬ সালে মারকুরি ম্যাগনেটোস্ফেরিক অরবিটার উৎক্ষেপণ; এবং ২০৩০ সালের মধ্যে চাঁদে একটি বেস গঠন। | 0.5 | 6,507.028306 |
20231101.bn_1347_59 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%A8 | জাপান | ২০০৭ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর জাপান "সেলিনে" (সেলেনোলোজিক্যাল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং এক্সপ্লোরার) নামে একটি চন্দ্রযান একটি এইচ-আইআইএ (মডেল এইচ২এ২০২২) ক্যারিয়ার রকেটের মাধ্যমে তানেগাশিমা মহাকাশ কেন্দ্র থেকে উৎক্ষেপণ করে। অ্যাপোলো কর্মসূচির পর থেকে বৃহত্তম চন্দ্র অভিযান ছিল কাগুয়া। এর উদ্দেশ্য ছিল চাঁদের উৎস ও বিবর্তন সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ। ৪ অক্টোবর এটি চাঁদের কক্ষপথে প্রবেশ করে এবং প্রায় উচ্চতায় উড়ে যায়। এই যানটির অভিযান শেষ হয় ২০০৯ সালের ১১ জুন। এই দিন জাক্সা ইচ্ছাকৃতভাবে চাঁদের সঙ্গে এই যানটির সংঘর্ষ ঘটিয়েছিল। | 1 | 6,507.028306 |
20231101.bn_1347_60 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%A8 | জাপান | জাপানের পরিবহন ব্যবস্থা অত্যাধুনিক এবং পরিবহন অবকাঠামো ব্যয়বহুল। জাপানে সড়ক নির্মাণে প্রচুর অর্থ ব্যয় করা হয়। সমগ্র দেশব্যাপী বিস্তৃত ১.২ মিলিয়ন কিলোমিটারের পাকারাস্তা জাপানের প্রধান পরিবহন ব্যবস্থা। জাপানে বামহাতি ট্রাফিক পদ্ধতি প্রচলিত। বড় শহরে যাতায়াতের জন্য নির্মিত সড়কসমূহ ব্যবহারের জন্য সাধারণত টোল নেয়া হয়। | 0.5 | 6,507.028306 |
20231101.bn_1347_61 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%A8 | জাপান | জাপানে বেশ কয়েকটি রেলওয়ে কোম্পানি রয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে প্রতিযোগিতা বিদ্যমান। এসব রেল কোম্পানির মধ্যে জাপান রেলওয়েস গ্রুপ, কিনটেটসু কর্পোরেশন, সেইবু রেলওয়ে, কেইও কর্পোরেশন উল্লেখযোগ্য। এসব কোম্পানি রেল পরিবহনকে আকর্ষণীয় করার জন্য বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে থাকে; যেমন- রেল স্টেশনে খুচরা দোকান স্থাপন। প্রায় ২৫০ কিলোমিটারব্যাপী বিস্তৃত শিনকানসেন জাপানের প্রধান শহরগুলোকে সংযুক্ত করেছে। এছাড়া অন্যান্য রেল কোম্পানিও সময়ানুবর্তিতার জন্য সুপরিচিত। | 0.5 | 6,507.028306 |
20231101.bn_1347_62 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%A8 | জাপান | জাপানে ১৭৩টি বিমানবন্দর রয়েছে। সবচেয়ে বড় অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দর হল হানেদা বিমানবন্দর, এটি এশিয়ার সবচেয়ে ব্যস্ততম বিমানবন্দর। জাপানের সবচেয়ে বড় আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হল নারিতা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। অন্যান্য বড় বিমানবন্দরের মধ্যে রয়েছে কানসাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, শুবু সেন্ট্রেয়ার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। জাপানের সবচেয়ে বড় সমুদ্র বন্দর হল নাগোয়া বন্দর। | 0.5 | 6,507.028306 |
20231101.bn_1347_63 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%A8 | জাপান | ২০০৮ সালে জাপানের জনসংখ্যা ছিল ১২ কোটি ৭৭ লক্ষ, ফলে জাপান বিশ্বের ১০ম জনবহুল দেশ। ১৯শ শতকের শেষ দিকে এবং ২০শ শতকের শুরুর দিকে জাপানে জনসংখ্যার দ্রুত বৃদ্ধি ঘটে। তবে সম্প্রতি জন্মহারের পতন এবং বিদেশ থেকে নীট অভিবাসন মোটামুটি শূন্যের কোঠায় হওয়াতে অতি সম্প্রতি, ২০০৫ সাল থেকে, জাপানের জনসংখ্যা হ্রাস পেতে শুরু করেছে। জাপানের জনগণ জাতিগতভাবে একই রকম, এখানে জনসংখ্যার ঘনত্ব অত্যন্ত বেশি এবং গড় আয়ু ৮১ বছরের কিছু বেশি, যা পৃথিবীর সর্বোচ্চগুলির একটি। ২০২৫ সাল নাগাদ ৬৫ থেকে ৮৫ বছর বয়সবিশিষ্ট নাগরিকের অংশ ৬% থেকে ১৫%-এ উন্নীত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। | 0.5 | 6,507.028306 |
20231101.bn_64176_8 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AF%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%AF | যুক্তরাজ্য | বিংশ শতাব্দীর শুরুতে বিশ্বের এক চতুর্থাংশ এলাকা ও জনগণ কোনও না কোনও ভাবে ব্রিটিশদের নিয়ন্ত্রণে ছিল; ব্রিটিশ সাম্রাজ্য ছিল বিশ্বের ইতিহাসের বৃহত্তম সাম্রাজ্য। | 0.5 | 6,497.365692 |
20231101.bn_64176_9 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AF%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%AF | যুক্তরাজ্য | কিছু কিছু দেশে যথেষ্ট সংখ্যক ব্রিটিশ অধিবাসী অভিবাসিত হন এবং ব্রিটেনের অপত্য রাষ্ট্রের জন্ম দেন। এদের মধ্যে আছে কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড। বহু বছর ধরে ভারতীয় উপমহাদেশ ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপনিবেশ ছিল। | 0.5 | 6,497.365692 |
20231101.bn_64176_10 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AF%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%AF | যুক্তরাজ্য | এক দীর্ঘ সাম্রাজ্যবিরোধী লড়াইয়ের পর ভারত স্বাধীন হয় এবং এটি বর্তমানে বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। দক্ষিণ, পশ্চিম ও পূর্ব আফ্রিকার উল্লেখযোগ্য পরিমাণ এলাকাও ব্রিটেনের নিয়ন্ত্রণে ছিল। এছাড়া এশিয়ার কিছু গুরুত্বপূর্ণ এলাকা যেমন হং কং, আমেরিকাতে কিছু ক্ষুদ্র উপনিবেশ এবং প্রশান্ত মহাসাগরে বহু দ্বীপ ব্রিটেন নিয়ন্ত্রণ করত। বর্তমানে এদের বেশিরভাগই স্বাধীন রাষ্ট্র হলেও এদের অনেকগুলিই ব্রিটিশ আইন, প্রতিষ্ঠান, এবং রীতিনীতি ধরে রেখেছে। | 0.5 | 6,497.365692 |
20231101.bn_64176_11 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AF%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%AF | যুক্তরাজ্য | এমনকি বিশ্বের যেসব এলাকা ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অংশ ছিল না, সেখানেও অনেক দেশে ব্রিটিশ সংসদীয় সরকার ব্যবস্থা তথা ওয়েস্টমিন্সটার মডেল গ্রহণ করা হয়েছে। এই মডেলটি আদিতে রাজকীয় শাসকের ক্ষমতার বাহন হলেও ধীরে ধীরে বিবর্তিত হয়ে একটি প্রতিনিধিত্বমূলক সরকারে পরিণত হয় এবং শেষ পর্যন্ত গণতন্ত্র চর্চার উপযুক্ত হয়ে ওঠে। | 0.5 | 6,497.365692 |
20231101.bn_64176_12 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AF%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%AF | যুক্তরাজ্য | বর্তমানে ব্রিটেনে আইন প্রণয়নের ক্ষমতা সংসদের নিম্ন কক্ষের দায়িত্ব, যে কক্ষের নাম হাউজ অভ কমন্স। হাউজ অভ কমন্সের প্রতিনিধিরা উন্মুক্ত নির্বাচনে নির্বাচিত হয়ে আসেন এবং দেশের প্রধান নির্বাহী প্রধানমন্ত্রীকে তারা নির্বাচিত করেন। প্রধানমন্ত্রী আবার হাউজ অভ কমন্সের মধ্য থেকে তার মন্ত্রিসভার জন্য সদস্য বাছাই করেন। | 1 | 6,497.365692 |
20231101.bn_64176_13 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AF%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%AF | যুক্তরাজ্য | যুক্তরাজ্যের পতাকার নাম ইউনিয়ন জ্যাক।যুক্তরাজ্যে ওয়েস্টমিনিস্টার ঘরানার দিকক্ষীয় শাসন ব্যবস্থা চালু আছে। | 0.5 | 6,497.365692 |
20231101.bn_64176_14 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AF%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%AF | যুক্তরাজ্য | দেশটির সঙ্গে অন্যান্য দেশের সুসম্পর্ক রয়েছে। এই দেশের পাসপোর্টে ১১৯টি দেশে বিনা ভিসায় ভ্রমণ করা যায়, যা পাসপোর্ট শক্তি সূচকে ৪র্থ স্থানে রয়েছে। | 0.5 | 6,497.365692 |
20231101.bn_64176_15 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AF%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%AF | যুক্তরাজ্য | ভৌগোলিক আকারের দিক থেকে যুক্তরাজ্য একটি ক্ষুদ্র রাষ্ট্র। উষ্ণ উপসাগরীয় স্রোতের প্রভাবে এখানকার জলবায়ু মৃদু ও আর্দ্র। আর অনেক উত্তরে অবস্থিত হওয়ায় এখানে বেশ শীত পড়ে। বছরের অধিকাংশ সময় আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকে বা বৃষ্টি পড়ে। এ কারণে ব্রিটেন তৃণময় সবুজ একটি দেশ। এর দক্ষিণ ও পূর্বে আছে বিস্তীর্ণ সমভূমি; পশ্চিম ও উত্তরে আছে রুক্ষ পাহাড় ও পর্বত। | 0.5 | 6,497.365692 |
20231101.bn_64176_16 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AF%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%AF | যুক্তরাজ্য | আকারে ছোট হলেও ব্রিটেনে প্রচুর লোকের বাস। এখানে প্রতি বর্গকিলোমিটারে প্রায় ২৫০ লোক বাস করেন। ব্রিটেন অর্থনৈতিকভাবে অত্যন্ত সমৃদ্ধ, শিল্প ও বিজ্ঞানে উন্নত, প্রযুক্তিতে আধুনিক, এবং শান্ত একটি রাষ্ট্র। ব্রিটেন ইউরোপের ধনী দেশগুলির একটি এবং এখানকার মানুষের জীবনযাত্রার মান বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় উঁচু। | 0.5 | 6,497.365692 |
20231101.bn_2666_15 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%97%E0%A6%B2 | গুগল | ২০০১ সালে গুগল পেজর্যাঙ্কের জন্য পেটেন্ট নেয়। পেটেন্টটি প্রাতিষ্ঠানিকভাবে স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে বরাদ্দ করা হয় এবং লরেন্স পেজকে এর উদ্ভাবক হিসেবে দেখানো হয়। ২০০৩ সালে, প্রাতিষ্ঠানিক কার্য বৃদ্ধির ফলে কোম্পানিটি একটি অফিস কমপ্লেক্স লিজ নেয় সিলিকন গ্রাফিক্স থেকে যেটির ঠিকানা ছিল ১৬০০ এম্পিথিয়েটার পার্কওয়ে, মাউন্টেন ভিউ, ক্যালিফোর্নিয়া। এই কমপ্লেক্সটি পরবর্তীতে গুগলপ্লেক্স হিসেবে পরিচিত হয়। এটির অভ্যন্তরীন নকশা করেন ক্লিভ উইলকিনসন। তিন বছর পরে গুগল এই জায়গাটি কিনে নেয় $৩১৯ মিলিয়নে। কিন্তু সেই সময়ের মধ্যেই "গুগল" তাদের নাম প্রতিদিনের ভাষায় যোগ করে ফেলতে সক্ষম হয়েছে। যার ফলে মেরিয়াম-ওয়েবস্টার কলেজিয়েট ডিকশনারি এবং অক্সফোর্ড ইংরেজি অভিধান একে একটি ক্রিয়া হিসেবে অভিধানে যোগ করে। | 0.5 | 6,457.070283 |
20231101.bn_2666_16 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%97%E0%A6%B2 | গুগল | অসম্ভব জনপ্রিয়তা প্রাপ্ত গুগল ইন্জিনের ব্যবহারকারীরা তাদের নিজেদেরকে "গুগলিষ্ট" হিসেবে ডাকা শুরু করে, এমনকি একে বিভিন্ন ধর্মের মত "গুগলিজম" হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। গুগলের অনুসারিরা একটি অলাভজনক অনলাইন প্রতিষ্ঠান পায় যা "দি চার্চ অব গুগল" একটি ওয়েবসাইট, যেখানে তারা উপাসনা করে এই বিশাল অনুসন্ধান ইন্জিনকে। দ্যা নিউইয়র্ক টাইমস এই বিষয়টিকে "ইজ গুগল গড?" শিরোনামে আলোচনা করে তাদের "মতামত" বিষয়শ্রেণীতে। ইন্টারনেটে অনেক ব্লগ রয়েছে যেখানে গুগলকে কেন ঈশ্বরতুল্য তার কারণ উল্লেখ্য আছে। | 0.5 | 6,457.070283 |
20231101.bn_2666_17 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%97%E0%A6%B2 | গুগল | গুগল নতুন কোম্পানী ক্যালিকো শুরু করার ঘোষণা দেয় ১৯শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সালে যা পরিচালিত হবে এ্যাপলের চেয়ারম্যান আর্থার লেভিনসনের দ্বারা। দাপ্তরিক উন্মুক্ত ব্যাখায় বলা হয় "স্বাস্থ্য এবং কল্যানভিত্তিক" কোম্পানিটির মূল দৃষ্টি থাকবে "বৃদ্ধ ও এর সঙ্গে সম্পর্কিত রোগের" প্রতি। | 0.5 | 6,457.070283 |
20231101.bn_2666_18 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%97%E0%A6%B2 | গুগল | ২০১৩ সেপ্টেম্বর নাগাদ গুগল ৭০টি অফিস প্রায় ৪০টিরও বেশি দেশে পরিচালনা করছে বলে জানা যায়। গুগল তার ১৫তম বার্ষিকী পালন করে সেপ্টেম্বর ২৭, ২০১৩ সালে যদিও এটি আগে অন্য তারিখে দাপ্তরিক জন্মদিন পালন করেছে । কেন এটি তারা বেছে নিয়েছে তা পরিষ্কার নয় এবং প্রতিযোগী অনুসন্ধান ইন্জিন ইয়াহু! অনুসন্ধানের সাথে ২০০৫ সালে হওয়া একটি বিরোধকে কারণ ধরা হচ্ছে। | 0.5 | 6,457.070283 |
20231101.bn_2666_19 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%97%E0%A6%B2 | গুগল | ২০১৩ সালেই এ্যালায়েন্স ফর এফোরডেবল ইন্টারনেট (A4AI) চালু করা হয় এবং গুগল এই সরকারি এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মিলিতরূপের একটি অংশ।ফেসবুক, ইন্টেল কর্পোরেশন এবং মাইক্রোসফট। স্যার টিম বার্নার্স-লি একে পরিচালিত করেন। এই সংস্থার উদ্দেশ্য হল ইন্টারনেট ব্যবহারকে সকলের হাতের নাগালে আনা এবং বৈশ্বিক উন্নয়নকে প্রশ্বস্ত করা। কারণ মাত্র ৩১% লোক অনলাইনে প্রবেশ করতে পারে পুরো পৃথিবী জুড়ে। গুগল ইন্টারনেট প্রবেশের দাম কমাতে সাহায্য করবে যাতে তারা ইউএন ব্রডব্যান্ড কমিশনের বিশ্বব্যাপি ৫% মাসিক আয়ের লক্ষ্যের নিচে নেমে আসে। | 1 | 6,457.070283 |
20231101.bn_2666_20 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%97%E0%A6%B2 | গুগল | ২০১৩ সালের তৃতীয় ভাগের সামগ্রিক আয়ের রিপোর্টে দেখা যায় ১৪.৮৯ বিলিয়ন ডলার আয় হয়েছে যা আগের ভাগের চেয়ে ১২% বেশি। গুগলের ইন্টারনেট ব্যবসায় এক্ষেত্রে যোগায় ১০.৮ বিলিয়ন যার সাথে আরো ছিল ব্যবহারকারীদের বিজ্ঞাপনে ক্লিকের হার। | 0.5 | 6,457.070283 |
20231101.bn_2666_21 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%97%E0%A6%B2 | গুগল | ২০১৩ সালের নভেম্বরে গুগল ঘোষণা করে নতুন ১ মিলিয়ন বর্গ ফিটের (৯৩০০০ বর্গ.মি) অফিস স্থাপনের যা হবে লন্ডনে এবং সম্ভাব্য উন্মুক্তের সাল হিসেবে ২০১৬ সালকে ধরা হয়। নতুন অফিসে প্রায় ৪৫০০ চাকুরীজিবীর কর্মসংস্থান হবে এবং ব্রিটেনের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক সম্পদ কেনার ইতিহাস হয়ে থাকবে। | 0.5 | 6,457.070283 |
20231101.bn_2666_22 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%97%E0%A6%B2 | গুগল | ২০১৪ সালের অক্টোবরে, ইন্টারব্রান্ড সূচক অনুযায়ী গুগল ছিল দ্বিতীয় সবোর্চ্চ মূলবান ব্রান্ড পুরো পৃথিবীতে যার মূল্যমান ছিল প্রায় ১০৭.৪ বিলিয়ন ডলার। মিলওয়ার্ড ব্রাউনের অন্য একটি রির্পোটে গুগলকে প্রথম স্থানে রাখা হয়। | 0.5 | 6,457.070283 |
20231101.bn_2666_23 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%97%E0%A6%B2 | গুগল | গুগলের ৯৯% আয় আসে বিজ্ঞাপন খাত থেকে। ২০০৬ অর্থবছরে, কোম্পানী জানায় ১০.৪৯২ বিলিয়ন বিজ্ঞাপন থেকে এবং লাইসেন্স ও অন্যান্য খাত থেকে ১১২ মিলিয়ন আয় হয়। গুগল অনলাইন বিজ্ঞাপন বাজারে বিভিন্ন নতুন মাত্রা যোগ করে এবং অন্যান্যদের তুলনায় এগিয়ে থাকে। ডাবলক্লিক কোম্পানীর প্রযুক্তি ব্যবহার করে গুগল ব্যবহারকারীদের আগ্রহ অনুযায়ী বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকে । গুগল এন্যালিটিকস এমন একটি প্রযুক্তি যা ওয়েব সাইটের মালিকগন ব্যবহার করে থাকেন কোথায় এবং কীভাবে মানুষ তাদের ওয়েব সাইট ব্যবহার করে থাকেন, উদাহরণ সরূপ বলা যায়, কোন পৃষ্ঠার সকল লিংকের মধ্যে কোনগুলোতে ক্লিক বেশি পড়েছে তা জানা যায় ক্লিক রেটের মাধ্যমে। গুগল দুটি পদ্ধতিতে তাদের বিজ্ঞাপনগুলো বিভিন্ন থার্ড-পার্টি ওয়েব সাইটে রাখার সুযোগ দেয়। গুগলের এ্যডওয়ার্ডস এর মাধ্যমে বিজ্ঞাপন প্রদানকারীরা কস্ট পার ক্লিক অথবা কস্ট পার ভিউ দুটির একটি ব্যবহার করে গুগল নেটওর্য়াকে বিজ্ঞাপন দিতে পারে। আরেকটি পদ্ধতিতে, যা গুগল এ্যাডসেন্স নামে পরিচিত, ওয়েব সাইট মালিকরা তাদের ওয়েব সাইটে বিজ্ঞাপনগুলো দেখাতে পারেন এবং তা থেকে অর্থ উপার্জন করতে পারেন (প্রতিবার বিজ্ঞাপনে ক্লিক পড়লে)। | 0.5 | 6,457.070283 |
20231101.bn_10098_4 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%87%E0%A6%B8%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A7%87%E0%A6%B2 | ইসরায়েল | ইসরায়েল বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তির নিরিখে বিশ্বের সেরা দেশগুলির একটি। মার্কিন সংবাদ মাধ্যম ব্লুমবার্গের প্রকাশিত ব্লুমবার্গ নবীকরণ সূচকে ২০১৯,২০২০ এবং ২০২১ সালে ইসরায়েল যথাক্রমে ৫ম, ৬ষ্ঠ ও ৭ম সেরা নবীকারক হিসেবে স্থান পেয়েছিল (দক্ষিণ কোরিয়া ও সিঙ্গাপুরের পরে এশিয়াতে তৃতীয়)। অন্যদিকে মার্কিন কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয় ও আরও কিছু সহযোগী সংস্থার প্রকাশিত বৈশ্বিক নবীকরণ সূচকে দেশটি ২০২০ সালে ১৩তম স্থান লাভ করে। শেষোক্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী ইসরায়েলে প্রতি ১০ লক্ষ অধিবাসীর জন্য ৮৩৪১ জন বিজ্ঞানী, গবেষক এবং প্রকৌশলী আছেন, যা বিশ্বের সর্বোচ্চ। ইসরায়েল তার বাৎসরিক বাজেটের প্রায় ৫% বৈজ্ঞানিক গবেষণা ও উন্নয়নের জন্যে বরাদ্দ করে, যা বিশ্বের মধ্যে সর্বোচ্চ। গবেষণামূলক শিল্পপ্রতিষ্ঠান ও বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের সহযোগিতার নিরিখে এটি বিশ্বের ১ নম্বর দেশ। ইসরায়েলের বৈদেশিক বাণিজ্যের ১৩% তথ্য ও প্রযুক্তি সেবা রপ্তানিতে নিয়োজিত, যা বিশ্বের সর্বোচ্চ। ইসরায়েল প্রতি একশত কোটি মার্কিন ডলার স্থূল অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের হিসেবে বিশ্বের সর্বাধিক সংখ্যক মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন নির্মাণ করে। জ্ঞানের বিস্তারে দেশটি বিশ্বের ২য় সেরা দেশ; ১৫- ৬৫ বছরের প্রতি ১০ লক্ষ ইসরায়েলির উইকিপিডিয়ায় সম্পাদনার সংখ্যা ৯৪, যা বিশ্বের ৩য় সর্বোচ্চ। | 0.5 | 6,100.694746 |
20231101.bn_10098_5 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%87%E0%A6%B8%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A7%87%E0%A6%B2 | ইসরায়েল | ইসরায়েল নিজেকে একটি ইহুদীবাদী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে দাবী করে। এখানে একটি প্রতিনিধিত্বমূলক সংসদীয় গণতন্ত্র বিদ্যমান। দেশটির এককক্ষবিশিষ্ট আইনসভার নাম ক্নেসেত। প্রধানমন্ত্রী সরকারপ্রধানের দায়িত্ব পালন করেন। | 0.5 | 6,100.694746 |
20231101.bn_10098_6 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%87%E0%A6%B8%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A7%87%E0%A6%B2 | ইসরায়েল | ইসরায়েল রাষ্ট্রের জন্ম, ইতিহাস ও রাজনীতি মধ্যপ্রাচ্য সংকটের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। দেশটি স্বাধীন হওয়ার পর থেকেই প্রতিবেশী আরব রাষ্ট্রগুলির সাথে বেশ কয়েকবার যুদ্ধে লিপ্ত হয়। এটি ১৯৬৭ সাল থেকে অর্ধ-শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে ফিলিস্তিনি-অধ্যুষিত পশ্চিম তীর এবং গাজা উপত্যকা সামরিকভাবে দখল করে আছে। এই ঘটনাটি আন্তর্জাতিকভাবে আধুনিক ইতিহাসের দীর্ঘতম সামরিক দখলের ঘটনা হিসেবে গণ্য করা হয়। ২০২১ সালে এসে জাতিসংঘের ১৯২টি সদস্যরাষ্ট্রের মধ্যে ১৬৪টি রাষ্ট্র ইসরায়েলকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিলেও ২৮টি রাষ্ট্র (মূলত মুসলমান অধ্যুষিত) এখনও ইসরায়েলের সার্বভৌমত্ব মেনে নেয়নি এবং এর সাথে তাদের কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। তাদের মতে, ইসরায়েল স্বাধীন রাষ্ট্র ফিলিস্তিনের একটি অংশের অবৈধ দখলদার বাহিনীর নিয়ন্ত্রিত ভূখণ্ড। তবে নিকটতম দুই আরব প্রতিবেশী মিশর ও জর্দানের সাথে ইসরায়েল শান্তিচুক্তি স্বাক্ষর করেছে এবং দেশ দুইটির স্বীকৃতিও লাভ করেছে। | 0.5 | 6,100.694746 |
20231101.bn_10098_7 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%87%E0%A6%B8%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A7%87%E0%A6%B2 | ইসরায়েল | মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ২০২১ সালের এপ্রিল মাসে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে যাতে ঐতিহাসিক গবেষণা ও দালিলিক যুক্তিপ্রমাণসহ দাবী করা হয় যে ইসরায়েলি সরকার প্রণালীবদ্ধভাবে ইসরায়েলের ইহুদীদেরকে অগ্রাধিকার প্রদান করে এবং অধিকৃত পশ্চিম তীর ও গাজা ভূখণ্ডের ফিলিস্তিনিদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ করে। সংস্থাটির মতে ইসরায়েলের আইন, নীতি ও ইসরায়েলের উচ্চপদস্থ সরকারী কর্মকর্তাদের বিবৃতিতে সুস্পষ্ট প্রমাণিত হয় যে জনপরিসংখ্যান, রাজনৈতিক ক্ষমতা ও ভূমির উপরে ইহুদী ইসরায়েলিদের কর্তৃত্ব বজায় রাখার মূল লক্ষ্যটি ইসরায়েলি সরকারের সমস্ত নীতিকে দিকনির্দেশনা প্রদান করেছে। এই লক্ষ্যে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ ফিলিস্তিনিদের জাতিগত পরিচয়ের ভিত্তিতে বিভিন্ন মাত্রায় তাদের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে গণহারে ভূমি জবরদখল, অব্যাহতভাবে ইসরায়েলি বসতি নির্মাণ ও সুউচ্চ প্রাচীর নির্মাণ করে ফিলিস্তিনিদেরকে ছিটমহলে অবরুদ্ধকরণ ও বলপূর্বক পৃথকীকরণ, তাদের বসবাসের অধিকার ও নাগরিক অধিকার হরণ ও তাদের উপরে দমন-নিপীড়নের মতো কাজগুলি সম্পাদন করে চলেছে। কিছু কিছু এলাকায় এই ধরনের বৈষম্য এতই প্রবল যে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের মতে ইসরায়েলি সরকারের আচরণগুলি একটি অলিখিত সীমা লঙ্ঘন করেছে এবং এগুলি জাতিবিদ্বেষভিত্তিক পৃথকাবাসন (আপার্টহাইট) ও নিপীড়নের মতো মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ হিসেবে গণ্য হবার যোগ্য। এর আগে ২০১৭ সালে মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বিবৃতি দেয় যে ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ইসরায়েল ফিলিস্তিনি ভূমি জবরদখল, ছয় লক্ষ ইহুদীর জন্য ২৮০টির মতো (আন্তর্জাতিক আইনের দৃষ্টিতে) অবৈধ বসতি স্থাপন, ফিলিস্তিনিদের বাসভূমি থেকে উচ্ছেদের পাশাপাশি অবাধ বৈষম্যমূলক আচরণের দ্বারা প্রতিদিন ফিলিস্তিনিদেরকে কর্মস্থলে গমন, বিদ্যালয়ে গমন, বিদেশে গমন, আত্মীয়দের সাক্ষাৎ, অর্থ উপার্জন, প্রতিবাদে অংশগ্রহণ, কৃষিভূমিতে কাজ করার ক্ষমতা, এমনকি বিদ্যুৎ ও সুপেয় জলের লভ্যতার মতো মৌলিক অধিকারগুলি প্রণালীবদ্ধভাবে লঙ্ঘন করে চলেছে। | 0.5 | 6,100.694746 |
20231101.bn_10098_8 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%87%E0%A6%B8%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A7%87%E0%A6%B2 | ইসরায়েল | ১৯৪৮ সালে দেশটির স্বাধীনতা লাভের সময় নাম রাখা হয় 'স্টেট অব ইসরায়েল', হিব্রু ভাষায় নাম রাখার কথা ভাবা হয়েছিলো যেমন: ইস্রায়েল দেশ, সিয়োন অথবা যিহূদিয়া। তবে ইসরায়েল নামটি হিব্রু এবং আরবি দুটো ভাষারই হওয়াতে এই নামই রাখারই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়। | 1 | 6,100.694746 |
20231101.bn_10098_9 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%87%E0%A6%B8%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A7%87%E0%A6%B2 | ইসরায়েল | ৪র্থ শতাব্দীতে কনস্টানটাইনের ধর্মান্তরিত হওয়ার সাথে সাথে প্যালেস্টাইনে সংখ্যাগরিষ্ঠ ইহুদিদের জন্য পরিস্থিতি আরও কঠিন হয়ে পড়ে। ইহুদি এবং ইহুদি ধর্মের বিরুদ্ধে বৈষম্যমূলক আইনের একটি ধারা পাশ করা হয়েছিল এবং গির্জা এবং কর্তৃপক্ষ উভয়ের দ্বারাই ইহুদিরা নির্যাতিত হয়েছিল। অনেক ইহুদি প্রবাসে প্রবাসী সম্প্রদায়ের বিকাশ লাভ করেছিল, কিছু স্থানীয়ভাবে খ্রিস্টান অভিবাসন এবং স্থানীয় ধর্মান্তর হয়েছিল । 5 ম শতাব্দীর মাঝামাঝি, সেখানে খ্রিস্টান সংখ্যাগরিষ্ঠ ছিল।৫ম শতাব্দীর শেষের দিকে, সামারিটান বিদ্রোহ শুরু হয়, যা ৬ষ্ঠ শতাব্দীর শেষভাগ পর্যন্ত অব্যাহত থাকে এবং এর ফলে সামারিটান জনসংখ্যা ব্যাপকভাবে হ্রাস পায়। জেরুজালেমের সাসানিয়ান বিজয়ের পর এবং ৬১৪ খ্রিস্টাব্দে হেরাক্লিয়াসের বিরুদ্ধে স্বল্পস্থায়ী ইহুদি বিদ্রোহের পর , বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্য ৬২৮ সালে এই এলাকার নিয়ন্ত্রণ পুনঃসংহত করে । | 0.5 | 6,100.694746 |
20231101.bn_10098_10 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%87%E0%A6%B8%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A7%87%E0%A6%B2 | ইসরায়েল | 634-641 খ্রিস্টাব্দে, রাশিদুন খিলাফত লেভান্ট জয় করে । পরবর্তী ছয় শতাব্দীতে এই অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ উমাইয়া , আব্বাসীয় , ফাতিমীয় খিলাফত এবং পরবর্তীকালে সেলজুক ও আইয়ুবী রাজবংশের মধ্যে হস্তান্তরিত হয়। পরবর্তী কয়েক শতাব্দীতে এলাকার জনসংখ্যা ব্যাপকভাবে হ্রাস পায়, রোমান ও বাইজেন্টাইন আমলে আনুমানিক ১ মিলিয়ন থেকে উসমানীয় যুগের প্রথম দিকে প্রায় ৩০০,০০০-এ নেমে আসে। এই জনসংখ্যা হ্রাসের পাশাপাশি আরবায়নের একটি স্থির প্রক্রিয়া ছিল অমুসলিম দেশত্যাগ, মুসলিম অভিবাসন এবং স্থানীয়ভাবে ইসলামে ধর্মান্তরিত হওয়ার কারণে ইসলামিকরণ ঘটে। | 0.5 | 6,100.694746 |
20231101.bn_10098_11 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%87%E0%A6%B8%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A7%87%E0%A6%B2 | ইসরায়েল | 11 শতকের শেষের দিকে ক্রুসেড আসে , খ্রিস্টান ক্রুসেডারদের প্যাপলি -অনুমোদিত আক্রমণ ছিল জেরুজালেম এবং পবিত্র ভূমিকে মুসলিম নিয়ন্ত্রণ থেকে ফিরিয়ে নেওয়ার এবং ক্রুসেডার রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে । | 0.5 | 6,100.694746 |
20231101.bn_10098_12 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%87%E0%A6%B8%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A7%87%E0%A6%B2 | ইসরায়েল | ১১৮৭ সালে এটি আবার আইয়ুবীয় রাজবংশ এর অধীনে চলে যায়, ত্রয়োদশ শতাব্দীতে ইসরায়েল মিশরের মামলুক সুলতান এর নিয়ন্ত্রণে আসে । | 0.5 | 6,100.694746 |
20231101.bn_9711_20 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A6%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%B6%E0%A6%A8 | দর্শন | প্রাচীন ভারতের চার্বাকপন্থীগণ, চীনের কনফুসিয়াস, ইয়াংচু, লাওজু, গ্রিসের ডিমোক্রিটাস, এপিক্যুরাস, এরিস্টটল প্রমুখ জ্ঞানী ও দার্শনিকগণ মানুষের জীবন নীতিগত দিকের বিশেষ আলোচনা করেছেন। | 0.5 | 5,731.089697 |
20231101.bn_9711_21 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A6%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%B6%E0%A6%A8 | দর্শন | ইউরোপে পুঁজিবাদী সমাজ যখন প্রতিষ্ঠিত হলো তখন একদিকে বিস্ময়কর আবিষ্কারসমূহ, শিল্পের প্রতিষ্ঠা, বিপুল সংখ্যক শ্রমিকের দাসের মতো যূথবদ্ধভাবে উৎপাদন, অপরদিকে নগণ্য সংখ্যক ধনপতির সমস্ত সম্পদের ভোগ– ইত্যাকার অবস্থা মিলে যে অভূতপূর্ব জটিল পরিস্থিতির সৃষ্ট হয়, তাতে ব্যক্তি ও সমাজের জীবনে ন্যায়, সঙ্গত-অসঙ্গত, শান্তি-অশান্তির প্রশ্নও নানারূপে মাথা তুলতে শুরু করে। এই পর্যায় থেকে নীতি-শাস্ত্রের আলোচনায় বস্তুবাদী এবং ভাববাদী বৈশিষ্ট্য অধিকতর পরস্পর-বিরোধী রূপ গ্রহণ করে। ভাববাদী নীতিশাস্ত্রের চরম প্রকাশ দেখা যায় ইমানুয়েল কান্টের রচনায়। তিনি মানুষের নীতির ক্ষেত্রে কতকগুলি ‘ক্যাটেগরিকাল ইম্পারেটিভ’ বা ‘শর্তহীন আদেশ’ প্রবর্তনের চেষ্টা করেন। তার মতে এই বিধানগুলি মানুষ মেনে চললে সমাজে যে অন্যায়, বিরোধ ও সংঘাতের সৃষ্টি হয়েছে তা বিদূরিত হবে। তার নীতি-বিধানের অন্যতম বিধান বাস্তব সমাজের পরিস্তিতির সঙ্গে সম্পর্কশূন্য এবং বাস্তব সমাজের বিশ্লেষণ এখানে অনুপস্থিত। ইংল্যাণ্ডের জেরমী বেনথাম (১৭৪৮-১৮৩২) এবং জন স্টুয়ার্ট মিল (১৮০৬-১৮৭৩) নীতির ক্ষেত্রে ‘হিতবাদ বা উপযোগবাদ’-এর প্রতিষ্ঠাতা বলে পরিচিত। তারা বৃহত্তম সংখ্যক মানুষের সুখ লাভকে ব্যক্তি ও সমাজের কাম্য আদর্শ বলে ঘোষণা করেন। বৃহত্তম সংখ্যক মানুষের সুখ লাভকে ব্যক্তি ও সমাজের কাম্য আদর্শ বলে ঘোষণা করেন। বৃহত্তম মানুষের উপর অনুষ্ঠিত অসঙ্গত আচরণ থেকে তাদের এ নীতি উদ্ভূত হলেও তাদের এ ঘোষণারও তেমন কোনো ব্যবহারিক তাৎপর্য ছিল না। তাদের মত যত বিমূর্ত মহৎ আদর্শের কথাই নীতির ক্ষেত্রে কেউ প্রচার করুক না কেন, তার বাস্তব তাৎপর্য সেই সময়ের অর্থনৈতিক-সামাজিক-রাষ্ট্রীয় কাঠামো দ্বারা নির্দিষ্ট হয়। মানুষ সামাজিক জীব। সমাজবদ্ধ হয়ে সে বাস করে। কিন্তু সেই সমাজ ইতিহাসে বিভিন্ন পর্যায় অতিক্রম করে অগ্রসর হয়েছে। প্রতিষ্ঠিত সমাজের শাসক শ্রেণীর ব্যবস্থাদি রক্ষণের জন্যই সেই সমাজের বিশেষ নীতিশাস্ত্র রচিত হয়। সমাজবদ্ধ মানুষের ব্যক্তি ও সমাজ উভয়ের জন্য জীবন ধারণের ও বিকাশের সঙ্গত অবস্থা সৃষ্টিকে মানুষের কাম্য নৈতিক আদর্শ বলে মনে করে। | 0.5 | 5,731.089697 |
20231101.bn_9711_22 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A6%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%B6%E0%A6%A8 | দর্শন | যুক্তিবিদ্যার প্রধান ভূমিকা হচ্ছে জ্ঞান অর্জনের জন্য বিভিন্ন প্রমাণের মূল্যায়ন। জ্ঞান অর্জনের জন্য মানুষ পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্যের উপর চিন্তা করে। এই চিন্তাকে পুনরায় ভাষায় প্রকাশ করে তাকে সামাজিক আদান প্রদানের মাধ্যমে রূপান্তরিত করে। ব্যক্তি জ্ঞান অর্জন করে। কিন্তু জ্ঞান ব্যক্তির ব্যাপার ন্যয়-জ্ঞান সামাজিক ব্যাপার। এ কারণে চিন্তার ভাষায় প্রকাশিত রূপ হচ্ছে যুক্তিবিদ্যার বিচার্য বিষয়। কেবল চিন্তার ব্যাপারটা মনোবিজ্ঞানের বিষয়। তথ্যের সঙ্গে তথ্যের সঙ্গতি ও সম্পর্ক, সেই তথ্য সম্পর্কে রচিত বাক্যের মধ্যে প্রকাশ পায়। তাই যুক্তিবিদ্যার সূত্রপাত ঘটে একটি যৌক্তিক বাক্যের সঙ্গে অপর একটি যৌক্তিক বাক্যের সম্পর্ক বিশ্লেষণে বাক্যের সঙ্গে বাক্যের সম্পর্ক কত প্রকারের হতে পারে, বাক্যের অংশসমূহের বৈশিষ্ট্য কী, বাক্যের পারম্পর্য কীভাবে রক্ষিত হতে পারে, ইত্যাকার প্রশ্নের আলোচনায়। খুব ব্যাপক অর্থে যুক্তিবিদ্যা হচ্ছে জ্ঞানানুসন্ধানের তত্ত্ব। নির্ভরযোগ্য জ্ঞান আহরণের বিভিন্ন পদ্ধতির আলোচনা দিয়েই যুক্তিবিদ্যার পরিমণ্ডল গঠিত। পর্যবেক্ষণ, তুলনা, বিশ্লেষণ, সংশ্লেষণ, সংজ্ঞা, পরীক্ষা-নিরীক্ষা, হেত্বাভাষ বা ত্রুটির প্রকার, যুক্তির নীতির বিকৃতি এবং অপপ্রয়োগ ইত্যাকার প্রক্রিয়াগুলির অনসুধাবন সঠিক জ্ঞানের জন্য আবশ্যক বলে এগুলিকে সুনির্দিষ্ট করার জন্য যুক্তিবিদ্যা এ সমস্ত প্রক্রিয়াও আলোচনা করে। | 0.5 | 5,731.089697 |
20231101.bn_9711_23 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A6%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%B6%E0%A6%A8 | দর্শন | যুক্তির দুটি প্রধান পদ্ধতি হচ্ছে: অবরোহ ও আরোহ। অবরোহ যুক্তিতে একটি নির্দিষ্ট যুক্তির শুরুতে প্রদত্ত এক কিংবা একাধিক বাক্যের ভিত্তিতে একটি অনিবার্য সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। আরোহ যুক্তিতে বাস্তব পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্যাদির ভিত্তিতে বাস্তবক্ষেত্রে সম্ভব একটি সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। অবরোহ যুক্তির সিদ্ধান্তের সত্যতা যুক্তির শুরুতে গৃহীত যৌক্তিক বাক্যের সত্যতা, অসত্যতার উপর নির্ভরশীল। কিন্তু আরোহ যুক্তির সিদ্ধান্তের সত্যতা নির্ভর করে বাস্তব পর্যবেক্ষণের সঠিকতার উপর। অবরোহ এবং আরোহ পরস্পর পরিপূরক পদ্ধতি। যে কোনো সমস্যা সমাধানের প্রয়াসে অনুসন্ধানের বিভিন্ন পর্যায়ে আমরা অবরোহ এবং আরোহ উভয় পদ্ধতির সাহায্য গ্রহণ করি। | 0.5 | 5,731.089697 |
20231101.bn_9711_24 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A6%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%B6%E0%A6%A8 | দর্শন | পূর্বে ধারণা ছিল যে, অবরোহ এবং আরোহ ব্যতীত যুক্তির আর কোনো পদ্ধতি নেই। কিন্তু ঊনবিংশ শতকের মধ্যভাগ থেকে দার্শনিক জর্জ বুল যুক্তির ক্ষেত্রে আঙ্গিক ও প্রতীক পদ্ধতি প্রয়োগ শুরু করেন। পরবর্তীকালে বার্ট্রান্ড রাসেল এবং হোয়াইটহেড এই পদ্ধতিকে অধিকতর ব্যাপকভাবে ব্যবহারের চেষ্টা করেছেন। যুক্তির এই আধুনিক বিকাশকে আঙ্কিক যুক্তি, প্রতীক যুক্তি কিংবা যুক্তির বীজগণিত বলেও আখ্যায়িত করা যায়। আঙ্কিকযুক্তি জটিল বলে বোধ হলেও সাধারণীকরণের ক্ষেত্রে এর যে গভীর তাৎপর্য রয়েছে তা নিম্নের উদাহরণ থেকে বোঝা যায়। | 1 | 5,731.089697 |
20231101.bn_9711_25 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A6%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%B6%E0%A6%A8 | দর্শন | অবরোহ যুক্তির এই দৃষ্টান্তটি খুবই পরিচিত। এই দৃষ্টান্তের মধ্যে অনিবার্যতার যে সত্য রয়েছে, তাকে অধিকতর সাধারণ করে আমরা বলতে পারি- | 0.5 | 5,731.089697 |
20231101.bn_9711_26 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A6%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%B6%E0%A6%A8 | দর্শন | উচ্চতর দর্শন বা সত্তার যথার্থ প্রকৃতির আলোচনামূলক জ্ঞান শাখা। নির্দিষ্ট কোনো অস্তিত্বকে আমরা বিশেষ বলি। বলটি, বৃক্ষটি, লোকটি বিশেষ বস্তু। কিন্তু বিশেষই মূল না বিশেষের পিছনে নির্বিশেষ কোনো সত্তা আছে, এ চিন্তা দার্শনিকদের আদিকালের চিন্তা। এরিস্টটল এই প্রশ্নের জবাবে নির্বিশেষ অস্তিত্ব বা সত্তার তত্ত্ব তৈরি করেন। তার মতে বিশেষ হচ্ছে খন্ডিত সত্তা। সমস্ত বিশেষ নিয়ে অখণ্ড নির্বিশেষ সত্তা। কিন্তু তাই বলে বিশেষের সমাহার মাত্র নির্বিশেষ নয়। পরন্তু নির্বিশেষের প্রকাশেই বিশেষ এবং বৈচিত্র্য। বিশেষ নির্বিশেষের প্রশ্নে প্লেটো, এরিস্টটল পূর্বে এরূপ অভিমত প্রকাশ করেন যে, জগৎের বিশেষ বিশেষ বস্তু পরিপূর্ণ সত্তা নয়। পরিপূর্ণ সত্তা বিশেষকে অতিক্রম করে বিরাজমান। নির্বিশেষের সাথে বিশেষের সাদৃশ্যের ভিত্তিতে বিশেষ অস্তিত্বের যথার্থতার পরিমাণ নির্দিষ্ট হয়। অর্থাৎ নির্বিশেষ হচ্ছে বিশেষের নিয়ামক। | 0.5 | 5,731.089697 |
20231101.bn_9711_27 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A6%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%B6%E0%A6%A8 | দর্শন | প্লেটো-এরিস্টটলের নির্বিশেষের এই তত্ত্ব পরাদর্শন বা পরাবিদ্যা বলে অভিহিত হয়। ইউরোপের মধ্যযুগের ধর্মীয় দর্শন প্লেটো এরিস্টটলের এই তত্ত্বকে ব্যবহার করে ঈশ্বরের অস্তিত্ব প্রমাণের চেষ্টা করে। সেন্ট টমাস একুইনিসের মধ্যে এই ব্যাখ্যার বিশেষ সাক্ষাৎ পাওয়া যায়। ষোড়শ শতকের পর থেকে নির্বিশেষ অস্তিত্বের তত্ত্ব দ্বারা ভাববাদী দার্শনিকগণ বস্তুমাত্রকেই অস্তিত্বহীন ও ভাব বলে ব্যাখ্যার চেষ্টা করেন। এই প্রয়াসের চরম দেখা যায় জার্মান দার্শনিক উলফের রচনায়। উলফের ব্যাখ্যায় ‘অস্তিত্ব’ ‘বাস্তবতা’ ‘সংখ্যা’ ‘কারণ’-এই সমস্ত ভাবের সঙ্গে বস্তুর কোনো সম্পর্ক নেই। হবস, স্পিনোজা, লক এবং অষ্টাদশ শতকের ফরাসি বস্তুবাদী দার্শনিকগণ অস্তিত্ত্বের এই ভাববাদী ব্যাখ্যাকে বিজ্ঞানের ভিত্তিতে খণ্ডন করেন। | 0.5 | 5,731.089697 |
20231101.bn_9711_28 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A6%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%B6%E0%A6%A8 | দর্শন | ন্যায়বিচার কী? রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলো রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান এবং এদের ক্ষমতার চর্চা কি ন্যায়সঙ্গত? সরকারের কি কোন যথাযথ ভূমিকা ও কাজের ক্ষেত্র আছে? সরকার পরিচালনার জন্য গণতন্ত্রই কি শ্রেষ্ঠ পন্থা? সরকার কি নৈতিকভাবে বিচারযোগ্য? রাষ্ট্রের কি তাকে বিচারের মুখোমুখি হতে দেয়া উচিত? কোন রাষ্ট্রের কি কোন নির্দিষ্ট নৈতিক বা ধর্মীয় মূলনীতির প্রচলিত রীতিনীতি ও মূল্যবোধ প্রচার করা উচিত? রাষ্ট্র কি যুদ্ধে অংশ নেয়ার অনুমতি পাবে? অন্য রাষ্ট্রের অধিবাসীদের বিরুদ্ধে কি রাষ্ট্রের কোন কর্তব্য আছে? | 0.5 | 5,731.089697 |
20231101.bn_137547_12 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B8 | সমাস | যে সমাসে প্রতিটি সমস্যমান পদের অর্থের সমান প্রাধান্য থাকে এবং ব্যাসবাক্যে একটি সংযোজক অব্যয় (কখনো বিয়োজক) দ্বারা যুক্ত থাকে, তাকে দ্বন্দ্ব সমাস বলে। | 0.5 | 5,661.472426 |
20231101.bn_137547_13 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B8 | সমাস | বিশেষণ ও বিশেষ্য, বিশেষ্য ও বিশেষ্য অথবা বিশেষণ ও বিশেষণ পদের মধ্যে এই সমাস হয়ে থাকে। যেমন, নীল যে আকাশ=নীলাকাশ। | 0.5 | 5,661.472426 |
20231101.bn_137547_14 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B8 | সমাস | কর্মধারয় সমাসে কোন কোন স্থানে মধ্যপদের লোপ হয়। সেজন্যেই একে মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস বলে। যথা: হিমালয় নামক পর্বত = হিমালয়পর্বত। এখানে ‘নামক’ মধ্যপদের লোপ হয়েছে। | 0.5 | 5,661.472426 |
20231101.bn_137547_15 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B8 | সমাস | সমান ধর্মবাচক পদের প্রয়োগ না থাকলে উপমেয় ও উপমান পদের যে সমাস হয়, তাকে উপমিত কর্মধারয় সমাস বলে। যেমন: মুখ চন্দ্রসদৃশ = মুখচন্দ্র। | 0.5 | 5,661.472426 |
20231101.bn_137547_16 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B8 | সমাস | উপমেয় পদে উপমানের আরোপ করে যে সমাস হয়, তাকে রূপক কর্মধারয় সমাস বলে। এতে উপমেয় পদে রূপ শব্দের যোগ থাকে। যেমন: বিদ্যারূপ ধন = বিদ্যাধন। এখানে ‘রূপ’ শব্দের যোগ রয়েছে। | 1 | 5,661.472426 |
20231101.bn_137547_17 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B8 | সমাস | উপমানবাচক পদের সাথে সমান ধর্মবাচক পদের মিলনে যে সমাস হয়, তাকে উপমান কর্মধারয় সমাস বলে। যেমন: শশের (খরগোশের) ন্যায় ব্যস্ত = শশব্যস্ত। | 0.5 | 5,661.472426 |
20231101.bn_137547_18 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B8 | সমাস | দ্বিতীয়াদি বিভক্তান্ত পদ পূর্বে থেকে যে সমাস হয়, তাকে তৎপুরুষ সমাস বলে। এতে উত্তরপদের অর্থ প্রাধান্য থাকে। যেমনঃ লবণ দ্বারা যুক্ত= লবণাক্ত। | 0.5 | 5,661.472426 |
20231101.bn_137547_19 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B8 | সমাস | "'তৎপুরুষ"' শব্দটির অর্থ হল "তার পুরুষ"। তার পুরুষ এই শব্দ গুলির একপদীকরণে তৎপুরুষ শব্দটির সৃষ্টি হয়েছে। এখানে পূর্ব পদ থেকে সম্বন্ধ পদের বিভক্তি 'র' লোপ পেয়েছে ও উত্তর পদের অর্থ প্রাধান্য পাচ্ছে। এইভাবে এই সমাসের অধিকাংশ উদাহরণে পূর্ব পদের বিভক্তি লোপ পায় ও উত্তর পদের অর্থ প্রাধান্য থাকে এবং তৎপুরুষ শব্দটি হল এই রীতিতে নিষ্পন্ন সমাষের একটি বিশিষ্ট উদাহরণ।তাই উদাহরণের নামেই এর সাধারণ নামকরণ করা হয়েছে তৎপুরুষ সমাস। | 0.5 | 5,661.472426 |
20231101.bn_137547_20 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B8 | সমাস | দ্বিতীয়া-বিভক্ত্যন্ত পদ পূর্বে থেকে সমাস হলে, তাকে দ্বিতীয়া-তৎপুরুষ বলে। যেমনঃ স্বর্গকে গত = স্বর্গগত। | 0.5 | 5,661.472426 |
20231101.bn_2763_3 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%AE%E0%A6%BE | কালেমা | কালেমা যার সাক্ষ্য আল্লাহ তা‘আলা স্বয়ং নিজেই নিজের জন্য দিয়েছেন, আরো দিয়েছেন ফিরিশতাগণ ও জ্ঞানী ব্যক্তিগণ। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, | 0.5 | 5,492.687139 |
20231101.bn_2763_4 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%AE%E0%A6%BE | কালেমা | এ কালেমাই ইখলাস তথা সত্যনিষ্ঠার বাণী, এটাই সত্যের সাক্ষ্য ও তার দাওয়াত এবং শির্ক এর সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করার বাণী এবং এ জন্যই সমস্ত সৃষ্টি জগতের সৃষ্টি। | 0.5 | 5,492.687139 |
20231101.bn_2763_5 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%AE%E0%A6%BE | কালেমা | ইবন উইয়াইনা বলেন, “বান্দার ওপর আল্লাহ তা‘আলার সবচেয়ে প্রধান এবং বড় নি‘আমত হলো তিনি তাদেরকে لاَ إِلهَ إِلاَّ اللهُ (লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ) তাঁর এই একত্ববাদের সাথে পরিচয় করে দিয়েছেন। দুনিয়ার পিপাসা কাতর তৃষ্ণার্ত একজন মানুষের নিকট ঠাণ্ডা পানির যে মূল্য, আখেরাতে জান্নাতবাসীদের জন্য এ কালেমা তদ্রূপ’ | 0.5 | 5,492.687139 |
20231101.bn_2763_6 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%AE%E0%A6%BE | কালেমা | إِلهَ (ইলাহ) শব্দের অর্থ ‘মা‘বুদ’ আর তিনি হচ্ছেন ঐ সত্ত্বা যে সত্ত্বার প্রতি কল্যাণের আশায় এবং অকল্যান থেকে বাঁচার জন্য হৃদয়ের আসক্তি সৃষ্টি হয় এবং মন তার উপাসনা করে। | 0.5 | 5,492.687139 |
20231101.bn_2763_7 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%AE%E0%A6%BE | কালেমা | না বাচক কথাটির অর্থ হচ্ছে, আল্লাহ ব্যতীত সমস্ত কিছুর ইবাদতকে অস্বীকার করা, আর হ্যাঁ সূচক কথাটির অর্থ হচ্ছে একমাত্র আল্লাহই সত্য মা‘বুদ। আর মুশরিকগণ আল্লাহ ব্যতীত যেসব মা‘বুদের উপাসনা করে সবগুলো মিথ্যা এবং বানোয়াট মা‘বুদ। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, | 1 | 5,492.687139 |
20231101.bn_2763_8 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%AE%E0%A6%BE | কালেমা | এই পবিত্র কালেমা মুখে বলাতে কোনই উপকারে আসবে না যে পর্যন্ত এর সাতটি (কোনো কোনো আলেম এর সাথে অষ্টম শর্ত যোগ করেছেন, আর তা হচ্ছে, তাগুতেরসাথে কুফুরী।) শর্ত পূর্ণ করা না হবে। | 0.5 | 5,492.687139 |
20231101.bn_2763_9 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%AE%E0%A6%BE | কালেমা | প্রথম শর্ত: এ কালেমার না বাচক এবং হ্যাঁ বাচক দু’টি অংশের অর্থ সম্পর্কে পরিপূর্ণ জ্ঞান থাকা প্রয়োজন। অর্থ এবং উদ্দেশ্য না বুঝে শুধুমাত্র মুখে এ কালেমা উচ্চারণ করার মধ্যে কোনো লাভ নেই। কেননা সে ক্ষেত্রে ঐ ব্যক্তি এ কালেমার মর্মের ওপর ঈমান আনতে পারবে না। আর তখন এ ব্যক্তির উদাহরণ হবে ঐ লোকের মতো যে লোক এমন এক অপরিচিত ভাষায় কথা বলা শুরু করল যে ভাষা সম্পর্কে তার সামান্যতম জ্ঞান ও নেই। | 0.5 | 5,492.687139 |
20231101.bn_2763_10 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%AE%E0%A6%BE | কালেমা | দ্বিতীয় শর্ত: ইয়াকীন বা দৃঢ় প্রত্যয়। অর্থাৎ এ কালেমার মাধ্যমে যে কথার স্বীকৃতি দান করা হলো তাতে সামান্যতম সন্দেহ পোষণ করা চলবে না। | 0.5 | 5,492.687139 |
20231101.bn_2763_11 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%AE%E0%A6%BE | কালেমা | তৃতীয় শর্ত: ঐ ইখলাস বা নিষ্ঠা, যা لاَ إِلهَ إِلاَّ اللهُ এর দাবী অনুযায়ী ঐ ব্যক্তিকে শির্ক থেকে মুক্ত রাখবে। | 0.5 | 5,492.687139 |
20231101.bn_43022_2 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%8B%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%BE | ভালোবাসা | প্রাচীন গ্রীক দার্শনিকরা ভালোবাসার ছয়টি রূপ শনাক্ত করেছিলেন: যেগুলো মূলত, পারিবারিক ভালোবাসা (গ্রিক: স্টার্জে), বন্ধুত্বপূর্ণ ভালোবাসা বা প্লেটোনিক ভালোবাসা (ফিলিয়া), রোমান্টিক ভালোবাসা (ইরোস),নিজেকে-ভালোবাসা (ফিলাউটিয়া), অতিথিকে ভালোবাসা (জেনিয়া) এবং ঐশ্বরিক বা নিঃশর্ত ভালবাসা (আগাপে)। আধুনিক লেখকগণ ভালোবাসার আরও কিছু বৈচিত্র্য শনাক্ত করেছেন; যেমন: প্রতিদানহীন ভালোবাসা, শুন্য ভালোবাসা, মুগ্ধ ভালোবাসা,পরিপূর্ণ ভালোবাসা, দরদী ভালোবাসা,আত্মভালোবাসা এবং সৌজন্যমূলক ভালোবাসা। এছাড়াও বিভিন্ন সংস্কৃতিতে রেন, ইউয়ানফেন, মামিহলাপিনাতাপাই, কাফুনে, কামা, ভক্তি, মৈত্রী, ইশক, চেসেড, আমোর, চ্যারিটি, সওদাদের মতো সাংস্কৃতিকভাবে অনন্য শব্দসমূহ ভালোবাসার সংজ্ঞা হিসাবে ব্যবহৃত হয়। | 0.5 | 5,441.895348 |
20231101.bn_43022_3 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%8B%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%BE | ভালোবাসা | গত দুই দশকে আবেগের উপর বৈজ্ঞানিক গবেষণা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ভালোবাসার রঙ চাকা তত্ত্ব থেকে তিনটি প্রাথমিক, তিনটি মাধ্যমিক এবং নয়টি তৃতীয় স্তরের ভালোবাসার পরিচয় পাওয়া যায়, যেগুলোকে একটি রঙের চাকায় বর্ণনা করা হয়। ভালোবাসার ত্রিভুজ তত্ত্ব পরামর্শ দেয় "ঘনিষ্ঠতা, আবেগ এবং প্রতিশ্রুতি" ভালোবাসার মূল উপাদান। ভালোবাসার অতিরিক্ত ধর্মীয় বা আধ্যাত্মিক অর্থ রয়েছে। ব্যবহার এবং অর্থের এই বৈচিত্র্য এর সাথে জড়িত অনুভূতিগুলোর জটিলতার সাথে মিলিত হয়ে অন্যান্য মানসিক অবস্থার তুলনায় ভালোবাসাকে সংজ্ঞায়িত করা অস্বাভাবিকভাবে কঠিন করে তোলে। | 0.5 | 5,441.895348 |
20231101.bn_43022_4 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%8B%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%BE | ভালোবাসা | ভালোবাসার সংজ্ঞা বিতর্ক, অনুমান, এবং অর্ন্তদর্শনের উপর প্রতিষ্ঠিত। অনেকেই ভালোবাসার মত একটি সর্বজনীন ধারণাকে আবেগপ্রবণ ভালোবাসা, কল্পনাপ্রবণ ভালোবাসা কিংবা প্রতিশ্রুতিপূর্ণ ভালোবাসা এসব ভাগে ভাগ করার পক্ষপাতী নন। তবে এসব ভালোবাসাকে শারীরিক আকর্ষণের ওপর ভিত্তি করে শ্রেণীবিন্যাস করা যেতে পারে। সাধারণ মতে, ভালোবাসাকে একটি ব্যক্তিগত অনুভূতি হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যেটা একজন মানুষ অপর আরেকজন মানুষের প্রতি অনুভব করে। কারো প্রতি অতিরিক্ত যত্নশীলতা কিংবা প্রতিক্ষেত্রে কারো উপস্থিতি অনুভব করা ভালোবাসার সাথেই সম্পর্কযুক্ত। অধিকাংশ প্রচলিত ধারণায় ভালোবাসা, নিঃস্বার্থতা, স্বার্থপরতা, বন্ধুত্ব, মিলন, পরিবার এবং পারিবারিক বন্ধনের সাথে গভীরভাবে যুক্ত। | 0.5 | 5,441.895348 |
20231101.bn_43022_5 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%8B%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%BE | ভালোবাসা | ভালোবাসার সাধারণ এবং বিপরীত ধারণার তুলনা করে ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে ভালোবাসাকে জটিলভাবে বিচার করা যায়। ধনাত্মক অনুভূতির কথা বিবেচনা করে ভালোবাসাকে ঘৃণার বিপরীতে স্থান দেওয়া যায়। ভালোবাসায় যৌনকামনা কিংবা শারীরিক লিপ্সা অপেক্ষাকৃত গৌণ বিষয়। এখানে মানবিক আবেগটাই বেশি গুরুত্ব বহন করে। কল্পনাবিলাসিতার একটি বিশেষ ক্ষেত্র হচ্ছে এই ভালোবাসা। ভালোবাসা সাধারণত কেবল বন্ধুত্ব নয়। যদিও কিছু সম্পর্ককে অন্তরঙ্গ বন্ধুত্ব বলেও অভিহিত করা যায়। | 0.5 | 5,441.895348 |
20231101.bn_43022_6 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%8B%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%BE | ভালোবাসা | বলা যেতে পারে যে মানুষ একটি বস্তু, নীতি বা লক্ষ্যকে ভালোবাসে যার প্রতি তারা গভীরভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং যা অত্যন্ত মূল্যবান। উদাহরণস্বরূপ,স্বেচ্ছাসেবক কর্মীদের "ভালবাসার" কারণ কখনও কখনও আন্তঃব্যক্তিক ভালোবাসা নয় বরং নৈর্ব্যক্তিক ভালোবাসা। পরার্থপরতা এবং দৃঢ় আধ্যাত্মিক বা রাজনৈতিক প্রত্যয় থেকে এর জন্ম হতে পারে। মানুষ বিভিন্ন বস্তু, প্রাণী বা ক্রিয়াকলাপকে "ভালবাসতে" পারে যদি তারা নিজেদেরকে বন্ধনে আবদ্ধ করে বা সেই জিনিসগুলোর সাথে একাত্মতা অনুভব করে। যদি যৌন আবেগও জড়িত থাকে তবে এই অনুভূতিকে যৌন বিকৃতি বলা হয়। | 1 | 5,441.895348 |
20231101.bn_43022_7 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%8B%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%BE | ভালোবাসা | যৌনতার জৈবিক মডেলকে স্তন্যপায়ী প্রাণীর একটি ড্রাইভ অর্থাৎ তাড়না হিসাবে মনে করা হয় যা অত্যধিক ক্ষুধা বা তৃষ্ণার মতো। হেলেন ফিশার প্রেম বিষয়ে একজন নেতৃস্থানীয় বিশেষজ্ঞ। প্রেমের অভিজ্ঞতাকে তিনি তিনটি আংশিক ওভারল্যাপিং পর্যায়ে বিভক্ত করেছেন: উদাহরণস্বরূপ, কামনা, আকর্ষণ, এবং সংযুক্তি। কামনা হল যৌন বাসনা পূরণ করার জন্য এক ধরনের অনুভূতি। রোমান্টিক আকর্ষণ মূলত নির্ধারণ করে কোন ব্যক্তির সঙ্গী কতটা আকর্ষণীয় তার উপর। তাছাড়া আরও কিছু বিষয় আছে, যেমন, একই সাথে একটি বাড়িতে অবস্থান করা, পিতামাতার প্রতি কর্তব্য, পারস্পরিক প্রতিরক্ষা এবং নিরাপত্তা সংক্রান্ত অনুভূতিগুলিও জড়িত থাকে। এই তিনটি রোমান্টিক শৈলীগুলির সাথে নিউরাল সার্কিটগুলি, নিউরোট্রান্সমিটার এবং তিনটি আচরণগত নিদর্শন সংযুক্ত সব সময় কার্যকর ভূমিকা পালন করে। | 0.5 | 5,441.895348 |
20231101.bn_43022_8 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%8B%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%BE | ভালোবাসা | কামনা হল যৌন বাসনার প্রাথমিক ধাপ যা টেস্টোস্টেরন এবং এস্ট্রোজেনের মতো রাসায়নিক পদার্থ বর্ধিত ত্যাগ করে। এর প্রভাব কয়েক সপ্তাহ বা কয়েক মাস পর্যন্ত স্থায়ী হয়। আকর্ষণ আরও স্বতন্ত্র এবং রোমান্টিক হয় একটি নির্দিষ্ট সঙ্গীর জন্য, যার মাধ্যমে একটি স্বতন্ত্র লালসা বিকশিত হয়। স্নায়ুবিজ্ঞানের সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে যে, মানুষ মূলত প্রেমে পড়ে যখন তার মস্তিষ্ক নিয়মিত একটি নির্দিষ্ট সেটের রাসায়নিক পদার্থ ত্যাগ করে। উদাহরণস্বরূপ, নিউরোট্রান্সমিটার হরমোন, ডোপামিন, নোরপাইনফ্রাইন, এবং সেরোটোনিন এর কথা উল্লেখ করা যেতে পারে। অ্যামফিটামিন এক ধরনের পদার্থ ত্যাগ করে যার ফলে মস্তিষ্কের কেন্দ্রীয় অংশ সক্রিয় হয়ে ওঠে, হৃৎস্পন্দনের হার বৃদ্ধি পায়, ক্ষুধা এবং ঘুম হ্রাস পায়, এবং উত্তেজনা বেড়ে যায়। গবেষণায় দেখা গেছে যে, এই পর্যায় সাধারণত দেড় থেকে তিন বছর পর্যন্ত স্থায়ী হয়। | 0.5 | 5,441.895348 |
20231101.bn_43022_9 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%8B%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%BE | ভালোবাসা | যেহেতু কামনা এবং আকর্ষণ এর পর্যায়গুলিকে অস্থায়ী বলে মনে করা হয়, তাই দীর্ঘমেয়াদী সম্পর্কের জন্য একটি তৃতীয় পর্যায় প্রয়োজন। সংযুক্তি হল এক ধরনের বন্ধন যার কারণে সম্পর্ক অনেক বছর এমনকি কয়েক দশক পর্যন্ত দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে। সংযুক্তি সাধারণভাবে বিবাহ বা শিশু জন্মদান করার মত অঙ্গীকারগুলির উপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠে। তাছাড়া পারস্পরিক বন্ধুত্ব বা পছন্দের বিষয়গুলি ভাগ করে নেয়ার কারণেও সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী হয়। গবেষণায় দেখা গেছে যে স্বল্পমেয়াদী সম্পর্কের চেয়ে দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্কের ক্ষেত্র বেশি পরিমাণে রাসায়নিক অক্সিটোসিন এবং ভ্যাসোপ্রেসিন নির্গত হয়। এনজো ইমানুয়েল এবং তার সহকর্মীরা রিপোর্ট করেন যে প্রোস্টেট অণুটি স্নায়ু বৃদ্ধিকারক ফ্যাক্টর (এনজিএফ) নামে পরিচিত, যখন লোকেরা প্রথম প্রেমে পড়ে তখন তার মাত্রা অনেক বেশি থাকে, কিন্তু এক বছর পর তারা আবার পূর্ববর্তী স্তরে ফিরে আসে। | 0.5 | 5,441.895348 |
20231101.bn_43022_10 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%8B%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%BE | ভালোবাসা | বিবর্তনীয় মনোবিজ্ঞান ভালবাসাকে টিকে থাকার হাতিয়ার হিসেবে দেখায়। মানুষ সহ অন্যান্য স্তন্যপায়ী তাদের জীবনকালের দীর্ঘ সময় পিতামাতার সাহায্যের উপর নির্ভর করে বেঁচে থাকে। এই সময়ে ভালবাসা একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। | 0.5 | 5,441.895348 |
20231101.bn_434822_0 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A6%BF | পরীমনি | শামসুন্নাহার স্মৃতি (জন্ম ১৫ ডিসেম্বর ১৯৯২), যিনি পরীমনি নামে অধিক পরিচিত, হলেন একজন বাংলাদেশী চলচ্চিত্রের মডেল ও অভিনেত্রী। ২০১৫ সালে ভালোবাসা সীমাহীন চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তার বড় পর্দায় অভিষেক হয়। তবে রানা প্লাজা (২০১৫) ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হয়ে তিনি আলোচনায় আসেন। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র হল প্রণয়ধর্মী আরো ভালোবাসবো তোমায়, লোককাহিনী নির্ভর মহুয়া সুন্দরী, এবং অ্যাকশনধর্মী রক্ত। | 0.5 | 5,418.695405 |
20231101.bn_434822_1 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A6%BF | পরীমনি | কর্মজীবনের চাইতে ব্যক্তিগত জীবনে পরীমনি অত্যধিক আলোচিত হলেও কর্মজীবনে তিনি নিজস্ব সাফল্যের উচ্চ শিখরে পৌঁছেছেন। পরীমনি বিভিন্ন জাতীয় পুরস্কারে বিজয়ী ও মনোনীত হয়েছেন, এছাড়াও তিনি ২০২০ সালে ফোর্বস এশিয়ার ১০০ জন সেলিব্রিটির তালিকাতেও অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। | 0.5 | 5,418.695405 |
20231101.bn_434822_2 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A6%BF | পরীমনি | ১৯৯২ সালের ডিসেম্বর মাসে বাংলাদেশের খুলনা বিভাগের সাতক্ষীরা জেলায় এক মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন পরীমনি। তার পারিবারিক নাম শামসুন্নাহার স্মৃতি। উনিশ শতকের শেষের দিকে পরীমনির মা সালমা সুলতানা ঢাকায় একটি বাসায় রহস্যময়ভাবে এক দুর্ঘটনায় আগুনে পুড়ে গুরুতরভাবে দগ্ধ হন। এ সময় পরীর বাবা মনিরুল ইসলাম তার মাত্র তিন বছরের সন্তান পরীমনিকে নিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছিলেন। ঢাকায় এক হাসপাতালে কিছুদিন তার দগ্ধ স্ত্রীর চিকিৎসা করান তিনি। সেসময় পরীকে তার নানা শামসুল হক গাজীর কাছে রেখে যান। এর দুই মাস পরেই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন পরীর মায়ের মৃত্যু হয়। এবং তিন বছর বয়সেই মা-হারা হন পরীমনি। বেলায়েত হোসেন পরীমনির ছোটবেলার ঘটনা বর্ণনা দিতে গিয়ে আরও বলেন, তিনবছর বয়সী ছোট শিশু পরীমনি তারপর থেকে তার নানা-নানি ও খালার কাছে লালিত-পালিত হয়েছেন। | 0.5 | 5,418.695405 |
20231101.bn_434822_3 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A6%BF | পরীমনি | পরবর্তীতে তার বাবারও মৃত্যু হয়। পরীমনির বাবার খুনের বিষয়ে তার ছোট খালা তাসলিমা পাপিয়া ব্যাখ্যা করে বলেন, স্মৃতির বাবা মনিরুল ইসলাম ছিলেন নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলার পুলিশ কনস্টেবল। ২০১২ সালে কোনো একটা সুনির্দিষ্ট কারণে তার সেই চাকরি চলে যায়। এবং তখন থেকেই তিনি গ্রামের বাড়িতে থেকে ব্যবসা করতেন। তাসলিমা পাপিয়া আরও বলেন, তিনি শুনেছেন হয়তো সেই ব্যবসাই বিরোধ নিয়ে প্রতিপক্ষের লোকজন মনিরুলকে কুপিয়ে হত্যা করেছিল। ছোট পরীমনি বড় হয়েছেন পিরোজপুরের নানা শামসুল হক গাজীর কাছে। | 0.5 | 5,418.695405 |
20231101.bn_434822_4 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A6%BF | পরীমনি | পরীমনির নানা-নানি দুজনেই ছিলেন স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা। তিনি তার মাতৃশিক্ষায়তন সহ মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক শেষ করেন পিরোজপুরে। তিনি তার স্নাতকশিক্ষায় প্রথমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিগ্রি কলেজে ভর্তি হয়েছিলেন তবে শিক্ষাগ্রহণ শুরু করেননি। এ কলেজের অধ্যক্ষ জাহাঙ্গীর কবিরের ভাষ্যে, "স্মৃতি ২০১১–১২ সাল নাগাদ ভগীরথপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে জিপিএ ৩.৫ পেয়ে ভর্তি হওয়ার জন্য এলেও সেখানে তিনি ভর্তিরত অবস্থায় আর কলেজে আসেনি"। পরিবর্তে তিনি সাতক্ষীরা সরকারি কলেজে বাংলা বিভাগে স্নাতক পড়াকালীন ২০১১ সালে ঢাকায় চলে আসেন এবং বুলবুল ললিতকলা একাডেমিতে নাচ শেখেন। | 1 | 5,418.695405 |
20231101.bn_434822_5 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A6%BF | পরীমনি | পরি তার বাবার মতো পুলিশ হতে চেয়েছিলেন, তবে তিনি তার কর্মজীবন শুরু করেন মডেলিং এর মাধ্যমে। কর্মজীবনের শুরুতে মডেল ছাড়াও তিনি বিভিন্ন নৃত্যানুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন এবং টিভি নাটকে অভিনয় করেন। তিনি মডেলিং থেকে ছোটপর্দায় এবং তারপর রূপালী পর্দায় অভিনয় শুরু করেন। অভিনয় জীবন শুরু করেন টিভি নাটকে অভিনয়ের মাধ্যমে। তিনি সেকেন্ড ইনিংস, এক্সক্লুসিভ, এক্সট্রা ব্যাচেলর, নারী ও নবনীতা তোমার জন্য এ চারটি ধারাবাহিক নাটকে কাজ করেছেন। এর মধ্যে জাকারিয়া শৌখিন রচিত নারী ও নবনীতা তোমার জন্য নাটকে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন।এ নাটকে আমিন খান, পপি তার সহশিল্পী ছিলেন। প্রথম অভিনীত নাটকেই তিনি ইলিয়াস কাঞ্চন এবং চম্পার সাথে অভিনয় করেন। | 0.5 | 5,418.695405 |
20231101.bn_434822_6 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A6%BF | পরীমনি | মুক্তির আগেই ২৩টি চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়ে রীতিমত হৈ চৈ ফেলে দিয়েছিলেন পরী মনি। ছবি মুক্তির আগেই মিডিয়ায় নানা ধরনের খবরের জন্ম দিয়ে আলোচিত-সমালোচিত হয়েছেন তিনি। শাহ আলম মন্ডল পরিচালিত ভালোবাসা সীমাহীন তার অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র। কিন্তু তিনি আলোচনায় আসেন নজরুল ইসলাম খানের রানা প্লাজা চলচ্চিত্রে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার পর থেকে। পরবর্তীতে ওয়াজেদ আলী সুমন পরিচালিত পাগলা দিওয়ানা ও দরদিয়া, এস এ হক অলীকের আরো ভালোবাসবো তোমায় চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। ২০১৫ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত তার অন্যান্য উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রগুলো হল মনজুড়ে তুই, লাভার নাম্বার ওয়ান, নগর মাস্তান, মহুয়া সুন্দরী। ২০১৬ সালে মুক্তি পায় মন জানে না মনের ঠিকানা, পুড়ে যায় মন, ওয়াজেদ আলী সুমনের অ্যাকশনধর্মী রক্ত, এবং শফিক হাসানের ধূমকেতু। ২০১৭ সালে মুক্তি পায় কত স্বপ্ন কত আশা, আপন মানুষ, সোনা বন্ধু, এবং মালেক আফসারীর অন্তর জ্বালা। গিয়াসউদ্দিন সেলিমের স্বপ্ন জাল, ইনোসেন্ট লাভ, দেবাশীষ বিশ্বাসের মন জ্বলে, সৈকত নাসিরের পাষাণ, নদীর বুকে চাঁদ, এবং বুকের মাঝে প্রেমের আগুন। | 0.5 | 5,418.695405 |
20231101.bn_434822_7 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A6%BF | পরীমনি | পরীমনি একটি বাবিসাস পুরস্কার, তিনটি মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার এবং দুটি সিজেএফবি পারফরম্যান্স পুরস্কার সহ বেশ কয়েকটি পুরষ্কারের প্রাপক। | 0.5 | 5,418.695405 |
20231101.bn_434822_8 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A6%BF | পরীমনি | বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মো. জাহাঙ্গীর কবির ব্যখ্যা করে জানান, স্মৃতি ২০১০ সালে তার এসএসসি পাসের আগেই নানার কথামত গ্রামের জাকির হোসেনের ছেলে ইসমাইল হোসেনকে পারিবারিক ভাবে বিয়ে করেন। এবং সেই গ্ৰামের বাসিন্দারা আরও বর্ণনা করে বলেন, ইসমাইল তখন বেকার থাকায় মোটরসাইকেল কেনার জন্য টাকা চেয়েছিল যৌতুক হিসেবে কিন্তু তা দিতে না পারায়, পরী ও ইসমাইলের মধ্যে ঝামেলার সৃষ্টি হয়। এবং বিয়ের ২ বছর পর তাদের মধ্যে বিচ্ছেদ হয়। | 0.5 | 5,418.695405 |
20231101.bn_5125_14 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%87%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A8 | ইরান | ১৯৫০ সাল অবধি ইরান ১২টি প্রদেশে বিভক্ত ছিল: আর্দালান, আজারবাইজান, বালুচিস্তান, ফারস, জিলান, আরাক-ই-আজম, খোরাসান, খুজেস্তান, কেরমান, লারেস্তান, লোরেস্তান এবং মাজান্দারান। ১৯৫০ সালে ইরানকে ১০টি প্রদেশে এবং তার অধীনে অনেকগুলো গভর্নরেটে ভাগ করা হয়: গিলান; মাজান্দারান; পূর্ব আজারবাইজান; পশ্চিম আজারবাইজান; কের্মানশাহ; খুজেস্তান; ফার্স; কের্মান; খোরাসান; ইসফাহান। ১৯৬০ হতে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত এক এক করে অনেকগুলো গভর্নরেটকে প্রদেশে উন্নীত করা হয়। সর্বশেষ ২০০৪ সালে তৎকালীন সর্ববৃহৎ খোরাসান প্রদেশকে তিন ভাগে ভাগ করে তিনটি নতুন প্রদেশ সৃষ্টি করা হয়। | 0.5 | 5,357.769093 |
20231101.bn_5125_15 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%87%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A8 | ইরান | সৌদি আরবের পর ইরান মধ্যপ্রাচ্যের দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ। দেশটির মোট আয়তন ১৬,৪৮,০০০ বর্গকিলোমিটার। দেশটি মোটামুটি ত্রিভুজাকৃতির, যার দীর্ঘতম বাহু প্রায় ২,৫০০ কিমি দীর্ঘ এবং যা উত্তর-পশ্চিমে তুরষ্কের সাথে সীমান্তে শুরু হয়ে দক্ষিণ-পূর্বে পাকিস্তান সীমান্তে এসে শেষ হয়েছে। ত্রিভুজের তৃতীয় শীর্ষটি উত্তর পূর্বে ইরানের সাথে তুর্কমেনিস্তানের সীমানার মাঝামাঝি অবস্থিত। উত্তর-দক্ষিণে ইরানের সর্বোচ্চ বিস্তার ১,৬০০ কিমি, আর পূর্ব-পশ্চিমে ১,৭০০ কিমি। | 0.5 | 5,357.769093 |