_id
stringlengths
17
22
url
stringlengths
42
314
title
stringlengths
2
36
text
stringlengths
100
5.1k
score
float64
0.5
1
views
float64
23
11.1k
20231101.bn_1348398_8
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B2
হাতিল
হাতিল কাঠ, মেলামাইন -লেমিনেটেড পার্টিকেল বোর্ড, মাঝারি-ঘনত্বের ফাইবারবোর্ড, বেত এবং ধাতু থেকে বাড়ি এবং অফিস উভয় আসবাবপত্র তৈরি করে। এর দুটি কারখানা জিরানী বাজার এবং সাভারে অবস্থিত, যার একটি কণা বোর্ড এবং ইঞ্জিনিয়ারড কাঠ তৈরি করে, অন্যটি আসবাবপত্র তৈরি করে। এটির প্রতি মাসে ৪৮,০০০টি আসবাবপত্রের উৎপাদন ক্ষমতা রয়েছে।
0.5
23.920353
20231101.bn_541992_0
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%B2
চাতুল
চাতুল (বৈজ্ঞানিক নাম: Rathinda amor (Fabricius))এক প্রজাতির ছোট আকারের প্রজাপতি যার শরীর ও ডানা ময়লা সাদা বর্ণের এবং ডানার উপর খয়েরি আলপনা আঁকা থাকে। এদের তিনটি অসমান আকৃতির লেজ দেখা যায়। এরা ‘লাইসিনিডি’ গোত্রের এবং 'থেকলিনি' উপগোত্রের সদস্য।
0.5
23.632671
20231101.bn_541992_1
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%B2
চাতুল
উইন্টার-ব্লাইদ লিখেছেন প্রজাপতিটি কলকাতা এবং তার আশেপাশের অঞ্চলে অত্যন্ত সুলভ। ওড়িশা, ভারতের দক্ষিণাংশ, পূর্বঘাট পর্বতমালার দৈর্ঘ্য বরাবর দেখা যায়। এছাড়া অসম, সিকিম এর ৩০০০ ফুট উচ্চতা অবধি এদের দেখা যায়।
0.5
23.632671
20231101.bn_541992_2
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%B2
চাতুল
চাতুলের পিছনের ডানার বেস এর বর্ন ময়লা সাদা থেকে খয়েরি হলুদ মেশানো। তার উপর খয়েরি এবং কমলা রঙের নানা আকৃতির নকশা কাটা থাকে যার যথাযত বর্ণনা দেওয়া দুষ্কর। নানা আকৃতিগুলি লম্বাটে বিন্দু এবং খাঁজকাটা রেখা দিয়ে তৈরী। সামনের ডানার নিচের পিঠের আঁচলে একটি সাদা ব্যান্ড অথবা পটি দেখা যায়। সেখান থেকে শীর্ষ পর্যন্ত চওড়া খয়েরি রঙ বিস্তৃত। ডানার গোড়ার দিকে কমলা এবং খয়েরি রঙ এর আঁজি থাকে।
0.5
23.632671
20231101.bn_541992_3
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%B2
চাতুল
ডানার ওপর পিঠ কালচে খয়েরি রঙের। সামনের ডানার আঁচলে ময়লা সাদা রঙের একটি অংশ থাকে। পিছনের ডানার ভূমিকোনে কয়েকটি ছোট লালচে কমলা বিন্দু দেখা যায় যার বাইরের দিকে কালো রঙ দিয়ে ঘেরা থাকে। ১,২ এবং ৩ নং শিরা থেকে তিনটি সুতোর মতো লেজ আছে এবং এদের দৈর্ঘ্য যথাক্রমে ২মিলিমিটার, ৬মিলিমিটার এবং ২.৫মিলিমিটার
0.5
23.632671
20231101.bn_541992_4
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%B2
চাতুল
চাতুলরা মাটি থেকে ১০-১২ ফুট উচ্চতা পর্যন্ত উড়তে দেখা যায়। এদের ওড়ার ভঙ্গি দুর্বল প্রকৃতির। ওড়ার সময় ডানা যতটা এগোয় শরীরটা ততটা এগোয় না। ফুলের উপর অনেকক্ষণ ওড়ার পর থিতু হয়। সাধারণত ঝুলে পড়া পাতায় উলম্ব ভাবে বসে থাকার অভ্যাস এদের। চাতুলদের আহার্য্য উদ্ভিদের আশেপাশেই বেশি দেখা যায়। ভিজে মাটিতে এদের প্রায় দেখাই যায় না।
1
23.632671
20231101.bn_541992_5
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%B2
চাতুল
চাতুল এর ডিম ফ্যাকাশে নীল অথবা প্রায় সাদা বর্ণের। রঙ্গন গাছে ফুলের কুঁড়ির খাঁজে ডিম পাড়তে দেখা যায়। ডিম পাড়ার আগে স্ত্রী চাতুল গাছটিকে বহুক্ষণ ধরে পর্যবেক্ষণ করতে থাকে। এরা সাধারনত বিভিন্ন পাতায় ৭-৯টি ডিম পাড়ে।
0.5
23.632671
20231101.bn_541992_6
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%B2
চাতুল
শূককীট সবুজ বর্নের আবার কোথাও লালচে রঙের আভা দেখা যায়। শূককীট এর পিঠের উপর অনেকগুলি বিভিন্ন দৈর্ঘ্যের মাংশল কাঁটা থাকে ।
0.5
23.632671
20231101.bn_541992_7
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%B2
চাতুল
এই শূককীট Rubiaceae গোত্রের রঙ্গন Ixora coccinea,Ixora singaporensis,Ixora arborea এছাড়া Dipterocarpeae, Euphorbiaceae, Loranthaceae, Sapindaceae এবং Myrtaceae গোত্রের বিভিন্ন গাছের কচি পাতার রসালো অংশ আহার করে।
0.5
23.632671
20231101.bn_541992_8
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%B2
চাতুল
মূককীট সবুজ বর্নের হয়। এদের উদর অংশের অপর পিঠ নীলচে গোলাপি রঙের হয়। ধীরে ধীরে এই রঙ খয়েরি রংগে পরিনত হয়। শরীরের পিছন দিক ডালে সংযুক্ত থাকে।
0.5
23.632671
20231101.bn_1137603_0
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%85%E0%A6%A1%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%8B%E0%A6%B2%E0%A6%A8
অডিকোলন
অডিকোলন ( ; ; অর্থ “কোলনের জল”), ওডিকোলন বা শুধু কোলন হলো জার্মানির কোলন শহরে উদ্ভূত এক বিশেষ ধরনের সুগন্ধি। ইয়োহান মারিয়া ফারিনা (জিয়োভান্নি মারিয়া ফারিনা) ১৭০৯ সালে প্রথম এই সুগন্ধির মিশ্রণ তৈরি করেন। তখন থেকে মৃদু গাঢ়ত্বের (২–৫%) সুগন্ধির প্রস্তুতির জন্য এটি সাধারণ নাম হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এছাড়াও অত্যাবশ্যক তেল বা নির্যাস, অ্যালকোহল ও পানির মিশ্রণের ওপর ভিত্তি করেও সুগন্ধির সাধারণ নাম হিসেবে কোলন ব্যবহার করা হয়। লঘু ইথানল (৭০–৯০%) মাধ্যমে প্রস্তুতকৃত অডিকোলনে লেবু, মাল্টা, নারঙ্গী, ক্লেমেন্টাইন, বার্গামট, লাইম, গ্রেপফ্রুট, রক্তকমলা, তিতকমলা, নারুলি প্রভৃতি সাইট্রাস জাতীয় ফলের সুগন্ধি তেল মিশ্রিত করা হয়। এছাড়া এতে ল্যাভেন্ডার, রোজম্যারি, থাইম, ওরিগ্যানো, পাতি গ্রাঁ (কমলার পাতা), জুঁই, জলপাই, অলিয়েস্টার ও তামাক পাতার তেল ব্যবহার করা হতে পারে।
0.5
23.502466
20231101.bn_1137603_1
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%85%E0%A6%A1%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%8B%E0%A6%B2%E0%A6%A8
অডিকোলন
সমসাময়িক মার্কিন ইংরেজি ভাষায় “কোলন” () বলতে পুরুষদের জন্য বাজারজাতকৃত যেকোনো সুগন্ধিকে বোঝায়। বহু জনপ্রিয় সুগন্ধির লঘু ও সাশ্রয়ীমূল্যের সংস্করণকেও এই নামে ডাকা হয়ে থাকে।
0.5
23.502466
20231101.bn_1137603_2
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%85%E0%A6%A1%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%8B%E0%A6%B2%E0%A6%A8
অডিকোলন
১৭০৯ সালে ইতালীয় সুগন্ধী প্রস্তুতকারক ইয়োহান মারিয়া ফারিনা জার্মানির কোলনে প্রথম স্পিরিট ও কমলার সুগন্ধির মিশ্রণে আসল অডিকোলন বাজারজাত করেন। ইয়োহান মারিয়া ফারিনার আদিনিবাস ছিল ইতালির পিডমন্টের সান্তা মারিয়া ম্যাগিয়োর ভিগেজ্জো উপত্যকায়। ১৭০৮ সালে ফারিনা তার ভাই জ্যঁ বাপ্তিস্ত্যকে একটি চিঠিতে লেখেন: “আমি এমন একটি সুগন্ধি পেয়েছি, যা ইতালির বসন্তের সকালের কথা, পাহাড়ি ড্যাফোডিলের কথা আর বৃষ্টির পর কমলার ফুটন্ত ফুলের কথা মনে করিয়ে দেয়।” তিনি তার নতুন আবাস কলোনের নামানুসারে এই সুগন্ধির নাম রাখেন অডিকোলন ()।
0.5
23.502466
20231101.bn_1137603_3
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%85%E0%A6%A1%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%8B%E0%A6%B2%E0%A6%A8
অডিকোলন
ফারিনার প্রস্তুতকৃত অডিকোলন শুধু সুগন্ধি হিসেবে তৎকালীন ইউরোপের প্রায় প্রতিটি রাজপ্রাসাদে স্থান করে নেয়। তার প্রায় ডজনখানেক স্বতন্ত্র গন্ধের সমপ্রকৃতির অপরিবর্তনশীল সুগন্ধি তৈরির দক্ষতাকে তৎকালে একটি অনন্য প্রতিভা হিসেবে দেখা হতো। অ্যাকুয়া মিরাবিলিস (অলৌকিক জলের লাতিন প্রতিশব্দ) নামে খ্যাতি পাওয়া এই সুগন্ধির দাম ছিল তখনকার দিনের একজন গৃহভৃত্যের বার্ষিক আয়ের অর্ধেক। ১৭৯৭ সালে ফরাসি শাসক কর্তৃক কলোনে মুক্তবাণিজ্য প্রথার প্রচলন করার পর অডিকোলন-এর সাফল্যে উদ্বুদ্ধ হয়ে অনেক ব্যবসায়ী তাদের সুগন্ধিকে অডিকোলন নামে বাজারজাত করতে থাকে। ১৭০৯ সাল থেকে কলোনের জুলিচস-প্ল্যাটজের বিপরীতে জোহান মারিয়া ফারিনাতে প্রস্তুতকৃত অডিকোলন তৈরি করে আসছে এবং এর প্রস্তুতপ্রণালী আজ পর্যন্ত গোপন রাখা হয়েছে। তিনি ১৭০৯ সালে ওবেনমার্সফর্টেনে তার সুগন্ধির একটি দোকান খোলেন। এটি পৃথিবীর সবচেয়ে প্রাচীন এবং অদ্যাবধি চলমান সুগন্ধির কারখানা হিসেবে স্বীকৃত।
0.5
23.502466
20231101.bn_1137603_4
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%85%E0%A6%A1%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%8B%E0%A6%B2%E0%A6%A8
অডিকোলন
অরিজিনাল অডিকোলন ৪৭১১ এর অবস্থান গ্লকেনগাসে নং ৪৭১১ থেকে আগত। ভিলহেল্ম মুলহেন্স ১৮শ শতকে এটি আরও উন্নত করেন, যা অন্তত ১৭৯৯ সাল থেকে কলোনে উৎপাদিত হয়ে আসছে। এটি সম্ভবত এখন পর্যন্ত উৎপাদন চালু থাকা সবচেয়ে পুরনো সুগন্ধি। ২০০৬ সালের ১২ ডিসেম্বর সুগন্ধি ও প্রসাধনী নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ময়ার উন্ট ভির্ৎস প্রক্টর অ্যান্ড গ্যাম্বলের থেকে ৪৭১১-এর সত্ত্ব কিনে নেয় এবং একে উন্নত করে একটি স্বতন্ত্র ব্র‍্যান্ড হিসেবে গড়ে তোলে।
1
23.502466
20231101.bn_1137603_5
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%85%E0%A6%A1%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%8B%E0%A6%B2%E0%A6%A8
অডিকোলন
১৮০৬ সালে জিয়োভান্নি মারিয়া ফারিনার বংশধর জ্যঁ মারি ফারিনা প্যারিসে একটি সুগন্ধির দোকান খোলেন, যা পরবর্তীতে রজার অ্যান্ড গ্যালেট কোম্পানি কিনে নেয়। এই কোম্পানি বর্তমানে কোলনের অরিজিনাল অডিকোলন-এর বিপরীতে অডিকোলন এক্সট্রা ভিয়েইল-এর সত্ত্বাধিকারী। প্রাথমিক যুগে মনে করা হতো অডিকোলন বিউবনিক প্লেগের প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে। এটি পান করলে সাইট্রাসের গন্ধযুক্ত তেল দেহের ছিদ্র দিয়ে নির্গত হবে এবং মাছিদের দূরে রাখবে। বর্তমানেও কুকুরের অধিকাংশ মাছিরোধক শ্যাম্পুতে সাইট্রাস নির্যাসের তেল যুক্ত থাকে।
0.5
23.502466
20231101.bn_1137603_6
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%85%E0%A6%A1%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%8B%E0%A6%B2%E0%A6%A8
অডিকোলন
আধুনিককালে অডিকোলন বা “কোলন” সুগন্ধির একটি সাধারণ শ্রেণিতে পরিণত হয়েছে। নারী-পুরুষ উভয়ের ব্যবহার্য সুগন্ধির ক্ষেত্রে এই নাম ব্যবহৃত হতে পারব। কিন্তু কথ্য মার্কিন ইংরেজিতে শুধু পুরুষদের সুগন্ধি বোঝাতে শব্দটি ব্যবহৃত হচ্ছে।
0.5
23.502466
20231101.bn_1137603_7
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%85%E0%A6%A1%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%8B%E0%A6%B2%E0%A6%A8
অডিকোলন
ইয়েভগেনি ইয়েভতুশেনকোর কবিতা অ্যাবাউট ড্রিংকিং-এ লেখক তিমি শিকার অভিযান শেষে একটি ছোট শহরে আসেন। সেখানকার দোকানে গিয়ে দেখেন সমস্ত স্পিরিট জাতীয় পানীয় শেষ হয়ে গেছে এবং খাওয়ার জন্য একটিমাত্র কেসে অডিকোলন বাকি আছে।
0.5
23.502466
20231101.bn_1137603_8
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%85%E0%A6%A1%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%8B%E0%A6%B2%E0%A6%A8
অডিকোলন
ডায়ানা গ্যাবাল্ডনের উপন্যাস গো টেল দ্য বিস দ্যাট আই অ্যাম গন-এর সুগন্ধি রুমাল হাতে ধরা উইলিয়াম চরিত্রের বর্ণনা পাওয়া যায়: “আসল অডিকোলন, ইতালি আর চন্দনের সৌরভ।”
0.5
23.502466
20231101.bn_734383_0
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%9A-%E0%A7%A8%E0%A7%A8
ক্যাচ-২২
ক্যাচ-২২ () হলো একপ্রকারের কূটাভাসিক পরিস্থিতি যেখানে বিপরীতধর্মী নিয়মনীতি ও সীমাবদ্ধতার জন্যে কোন ব্যক্তিবিশেষ এটাকে এড়াতে পারে না।
0.5
23.397105
20231101.bn_734383_1
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%9A-%E0%A7%A8%E0%A7%A8
ক্যাচ-২২
ক্যাচ-২২ সমূহ অধিকাংশক্ষেত্রে নিয়মনীতি, প্রক্রিয়া থেকে উদ্ভব হয়, যেখানে ব্যক্তিবিশেষ ভুক্তভোগী কিন্তু বিষয়টির উপর তার কোন নিয়ন্ত্রণ নেই, কারণ নিয়মটির সাথে লড়াই করার মানেই হচ্ছে নিয়মটি মেনে নেয়া।
0.5
23.397105
20231101.bn_734383_2
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%9A-%E0%A7%A8%E0%A7%A8
ক্যাচ-২২
অন্য একটি উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, কিছু বিষয় শুধু তখনই অর্জন করা যায়, যখন তার প্রয়োজন থাকে না (যেমন, যার অর্থ প্রয়োজন তাকে ব্যাংক কখনও ঋণ দিবে না)। শব্দটি দ্বারা আবার বুঝায় যে "ক্যাচ-২২"-এর নির্মাতারা তাদের ক্ষমতার অপব্যবহারকে ন্যয্যতা দেয়ার জন্যে কিছু যুক্তবহির্ভূত নিয়মের প্রচলন করেছে।
0.5
23.397105
20231101.bn_734383_3
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%9A-%E0%A7%A8%E0%A7%A8
ক্যাচ-২২
জোসেফ হেলার তার ১৯৬১ সালের উপন্যাস ক্যাচ-২২-এ প্রথম এ শব্দটির ব্যবহার করেন, যেখানে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সৈন্যদের উপর অর্থহীন আমলাতান্ত্রিক অবরোধের কথা বলা হয়। ডক ড্যানিকা নামে একজন মনোবিশারদ এ শব্দটির সাথে পরিচয় করিয়ে দেন, যিনি কেন বিমানচালকরা মারাত্মক অভিযানগুলো এড়াতে মানসিকভাবে সুস্থ না বুঝানোর জন্যে মানসিক মূল্যায়নের আবেদন করে, যা বুঝায় সে মানসিকভাবে সুস্থ এবং অসুস্থ হতে পারে না। এ শব্দদ্বয় একই সাথে এমন একধরনের উভয়সংকট বুঝায় যেখানে পরস্পর বিরোধী অথবা নির্ভর শর্তাদীর জন্যে পালানোর কোন সুযোগ নেই।
0.5
23.397105
20231101.bn_734383_4
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%9A-%E0%A7%A8%E0%A7%A8
ক্যাচ-২২
সাহিত্যের অধ্যাপক ইয়ান গ্রেগসনের মতে, এ বৃদ্ধার বক্তব্যে ক্যাচ-২২ হলো কুতর্ককে একপাশে সরিয়ে রেখে সরাসরিভাবে ক্ষমতার নির্মম ব্যবহার।
1
23.397105
20231101.bn_734383_5
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%9A-%E0%A7%A8%E0%A7%A8
ক্যাচ-২২
হেলার মূলত এ শব্দগুচ্ছটি অন্য সংখ্যা দিয়ে তৈরী করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু তিনি ও তার প্রকাশক শেষ পর্যন্ত এ ২২ সংখ্যাটিতেই এসে ঠেকলেন। সংখ্যাটির বিশেষ কোন বিশেষত্ব নেই। শ্রুতিমধুরতাই ছিলো সংখ্যাটি ব্যবহারের মূল কারণ। শিরোনাম প্রথমে ছিলো ক্যাচ-১৮, কিন্তু জনপ্রিয় মিলা ১৮ প্রকাশিত হওয়ার পর হেলার এর নাম পরিবর্তন করেন।
0.5
23.397105
20231101.bn_734383_6
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%9A-%E0%A7%A8%E0%A7%A8
ক্যাচ-২২
"ক্যাচ-২২"-এর ব্যবহার ইংরেজি ভাষায় ক্রমেই বেড়ে চলছে। ১৯৭৫ সালের একটি সাক্ষাৎকারে হেলার বলেন, শব্দটি অন্যভাষায় সম্পূর্ণরূপে অনুবাদ সম্ভব না।
0.5
23.397105
20231101.bn_734383_7
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%9A-%E0%A7%A8%E0%A7%A8
ক্যাচ-২২
জেমস ই. কম্বস ও ড্যান ডি. নিমো বলেন বর্তমানে এ শব্দটির বিপুল জনপ্রিয়তার মূল কারণ আধুনিক সমাজেত বিশাল একটি অংশ এ আমলাতান্ত্রিক যৌক্তিকতায় হতাশ হয়ে পড়ে।
0.5
23.397105
20231101.bn_734383_8
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%9A-%E0%A7%A8%E0%A7%A8
ক্যাচ-২২
জর্জ ওরওয়েলের ডাবলথিংকের সাথে সাথে ক্যাচ-২২ বিপরীতধর্মী নিয়মের মধ্যে বন্দী হওয়ার বিধেয়কে বর্ণনার সবচেয়ে পরিচিত কয়েকটি উপায়ের একটি হয়ে উঠেছে।
0.5
23.397105
20231101.bn_1383220_0
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A5%E0%A7%87%E0%A6%B0%E0%A6%BF
থেরি
থেরি () একটি ২০১৬ সালের ভারতীয় তামিল -ভাষা অ্যাকশন থ্রিলার চলচ্চিত্র। যা লিখেছেন ও পরিচালনা করেছেন এটলি কুমার এবং প্রযোজনা করেছেন ভি ক্রিয়েশনস- এর ব্যানারে কালাইপুলি এস. থানু । এটি মণি রত্নমের চলচ্চিত্র চাত্রিয়ান থেকে অনুপ্রাণিত। প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন বিজয়, সামান্থা রুথ প্রভু এবং এমি জ্যাকসন। চলচ্চিত্রটির সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন জিভি প্রকাশ কুমার, সিনেমাটোগ্রাফি পরিচালনা করেছেন জর্জ সি. উইলিয়ামস এবং সম্পাদনা করেছেন রুবেন। চলচ্চিত্রে একজন প্রাক্তন পুলিশ অফিসার তার মেয়েকে তার অতীত শত্রুদের হাত থেকে রক্ষা করার প্রচেষ্টায় রয়েছেন।
0.5
23.381357
20231101.bn_1383220_1
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A5%E0%A7%87%E0%A6%B0%E0%A6%BF
থেরি
থেরি ২০১৬ সালের ১৪ এপ্রিল মুক্তি পায় এবং সমালোচক ও দর্শকদের কাছ থেকে ইতিবাচক পর্যালোচনা পেয়েছে। চলচ্চিত্রটি ₹ ৭৫ কোটি বাজেটের বিপরীতে ₹ ১৫০ কোটি আয় করে এবং ২০১৬ সালের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আয়কারী তামিল চলচ্চিত্র হিসেবে আবির্ভূত হয় । এটি আরও তিনটি সিমা পুরস্কার,  তিনটি আইফা উৎসবম পুরস্কার, দুটি আনন্দ বিকাশ সিনেমা পুরস্কার এবং ৬৪তম ফিল্মফেয়ার পুরস্কার দক্ষিণে নয়টি মনোনয়ন জিতেছে । চলচ্চিত্রটি রত্নাকর (২০১৯) হিসাবে অসমীয়া ভাষায় রূপান্তরিত হয়েছিল। এটি বর্তমানে বিজয়ের কর্মজীবনের সবচেয়ে জনপ্রিয় চলচ্চিত্র গুলির মধ্যে একটি হিসাবে বিবেচিত হয়।
0.5
23.381357
20231101.bn_1383220_2
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A5%E0%A7%87%E0%A6%B0%E0%A6%BF
থেরি
জোসেফ কুরুভিলা একজন অহিংস ব্যক্তি, যিনি একটি বেকারি চালান এবং তার পাঁচ বছর বয়সী কন্যা নিবেদিতা "নিভি" এর সাথে একটি শান্তিপূর্ণ জীবনযাপন করেন৷ জোসেফ শীঘ্রই নিভির শিক্ষিকা অ্যানির সাথে বন্ধুত্ব করেন, যিনি তার প্রতি ক্রাশ তৈরি করতে শুরু করেন৷ কিছু গুন্ডাদের সাথে ঝগড়া হয় যারা নিভিকে মেরে ফেলার চেষ্টা করে। এই সময় অ্যানি জানতে পারে যে জোসেফ আসলে ডিসিপি বিজয় কুমার, চেন্নাইয়ের একজন সৎ পুলিশ । তারপর সিনেমাটি ফ্ল্যাশব্যাকে চলে আসে।
0.5
23.381357
20231101.bn_1383220_3
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A5%E0%A7%87%E0%A6%B0%E0%A6%BF
থেরি
অতীত : অপরাধীদের সাথে সংঘর্ষ করার সময় বিজয়কে ন্যায়পরায়ণ এবং ভালো চরিত্রের দেখানো হয়েছে। তিনি মিত্রা নামে একজন ডাক্তারের সাথে দেখা করেন এবং তারা প্রেমে পড়েন। একদিন রাতে, বিজয় একজন বৃদ্ধ লোকের সাথে দেখা করে যে তার নিখোঁজ মেয়ে রাজীকে খুঁজে পাওয়ার জন্য অভিযোগ নিয়ে আসে। তিনি দেখতে পান যে তাকে যৌন নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। আরও তদন্ত তাকে শ্রমমন্ত্রী বনমামালাইয়ের ছেলে অশ্বিনের কাছে নিয়ে যায় । বিজয় অশ্বিনকে গ্রেপ্তার করতে বনমামালাইয়ের বাড়িতে যায়। কিন্তু বনমামালাই এবং কমিশনার সিবি চক্রবর্তী তাকে জানান যে অশ্বিন তিন দিন ধরে নিখোঁজ ছিল। বিজয়কে অশ্বিনকে খুঁজে বের করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বিজয় অশ্বিনকে খুঁজে পায় এবং হত্যা করে এবং এটি বনমামালাইকে প্রকাশ করে। যিনি তার প্রতিশোধ নেওয়ার শপথ করেন।
0.5
23.381357
20231101.bn_1383220_4
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A5%E0%A7%87%E0%A6%B0%E0%A6%BF
থেরি
বিজয় মিত্রার পরিবারের সাথে দেখা করার সময় বনমামালাইয়ের ভাই রত্নম তাকে শেষ করতে গুন্ডা পাঠায়। ঘটনাটি মিত্রাকে ক্ষতবিক্ষত করে এবং সে বিজয়কে তার পুলিশের চাকরি ছেড়ে দিতে বলে। সে তাকে বোঝায় যে সে তার কাজ এবং ব্যক্তিগত জীবনে ভারসাম্য রাখতে পারে এবং তারা বিয়ে করে। তারা দুজনেই তখন নিভি এবং সুখী জীবনযাপন করে। দুর্ভাগ্যবশত দীপাবলির রাতে ভানামামালাই, রত্নম এবং তাদের দোসর কারিকালান, বিজয়ের বাড়িতে ঢুকে পড়ে এবং বিজয়ের মা ও মিত্রাকে হত্যা করে। বিজয়কে গুলি করে এবং নিভিকে ডুবিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। একজন আহত এবং মৃত মিত্রা নিভিকে বাঁচায় এবং বিজয়কে শপথ করতে বলে যে সে পুলিশ বাহিনী ছেড়ে দেবে। বিজয় মিত্রার ব্রত গ্রহণ করে, পালিয়ে যায় এবং নিভিকে রক্ষা করার জন্য তার মৃত্যুকে জাল করে।
1
23.381357
20231101.bn_1383220_5
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A5%E0%A7%87%E0%A6%B0%E0%A6%BF
থেরি
বর্তমান : নিভি স্কুল ভ্রমণের জন্য রওনা হওয়ার সময়, বিজয় এবং নিভি দুজনেই বেঁচে আছে জেনে বনমামালাই, সে যে বাসে ছিল তার একটি দুর্ঘটনা ঘটায়। অ্যানি এবং স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় বিজয় নিভি এবং অন্যজনকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। শিশু দুর্ঘটনার পিছনে বনমামালাই রয়েছে জানতে পেরে তিনি প্রতিশোধ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। বিজয় চেন্নাইতে ফিরে আসে এবং প্রথমে কারিকালানকে হত্যা করে। একজন পুলিশ অফিসার এটি প্রত্যক্ষ করেন এবং এই কথাটি ছড়িয়ে দেন যে বিজয় আবার ভূত হয়ে আবির্ভূত হয়েছে। বনমামালাই রত্নমকে সত্য সম্পর্কে সতর্ক করার চেষ্টা করে কিন্তু রত্নম, তার ভাইয়ের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে, মনে করে যে তিনিই কারিকালানকে হত্যা করেছিলেন। বিজয় রত্নমকে একটি ভবনের ১৩ তলা থেকে ধাক্কা দিয়ে হত্যা করে।
0.5
23.381357
20231101.bn_1383220_6
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A5%E0%A7%87%E0%A6%B0%E0%A6%BF
থেরি
বিজয় তার কাছে পৌঁছানোর জন্য বনমামালাইয়ের দোসরদের হাতে ধরা পড়ে। বনমামালাই নিভির কাছে অতীত প্রকাশ করে। যিনি বিজয়কে তাকে শেষ করতে বলেন। বিজয় বনমামালাই ও তার দোসরদের হত্যা করে। হত্যাকাণ্ডগুলি জনসাধারণের কাছ থেকে একটি রহস্য হিসাবে অব্যাহত রয়েছে, তবে সিবি চক্রবর্তী গোপনে অবগত হন যে বিজয় জীবিত এবং তাকে পুলিশ বাহিনীতে পুনরায় নিয়োগ দেয়।
0.5
23.381357
20231101.bn_1383220_7
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A5%E0%A7%87%E0%A6%B0%E0%A6%BF
থেরি
কয়েক বছর পরে, বিজয়, একজন বয়স্ক নিভি এবং অ্যানি লাদাখে । বিজয়, যিনি নিজের পরিচয় পরিবর্তন করে ধর্মেশ্বর হয়েছেন এবং ছদ্মবেশে সিবিআই এর কাজ করে চলেছেন।
0.5
23.381357
20231101.bn_1383220_8
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A5%E0%A7%87%E0%A6%B0%E0%A6%BF
থেরি
থেরি প্রথমে ২০১৬ সালের ১৪ই এপ্রিল মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল। সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ফিল্ম সার্টিফিকেশন থেকে গুরুতর সহিংসতা এবং ঘোরের দৃশ্যগুলি কমাতে অনেক কাটার পরে, ছবিটি 'ইউ' শংসাপত্র পেয়েছে। এর আগে জুলাই ২০১৫ সালে, দলটি অস্থায়ীভাবে দুটি প্রকাশের তারিখ নির্ধারণ করেছিল - একটি পোঙ্গল উপলক্ষে (১৫ জানুয়ারী ২০১৬) এবং অন্যটি প্রজাতন্ত্র দিবসের সপ্তাহান্তে (২২ জানুয়ারী ২০১৬) নির্ধারিত হয়েছিল। টিম ছবিটির প্রথম দিকের সমাপ্তির উপর নির্ভর করে মুক্তির তারিখের পরিকল্পনা করেছিল। যাইহোক, উৎপাদন বিলম্ব দলকে তামিল নববর্ষে (১৪ এপ্রিল ২০১৬) মুক্তির তারিখ ঠেলে দিতে বাধ্য করেছিল। ইচ্ছাকৃতভাবে, রজনীকান্ত-অভিনীত কাবালি, থানুর আরেকটি চলচ্চিত্র যা তিনি প্রযোজনা করেছিলেন, একই দিনে মুক্তির জন্যও নির্ধারিত ছিল। একই কোম্পানি বা প্রযোজক দ্বারা নির্মিত কোনও দুটি তামিল ছবি একই তারিখে সংঘর্ষ না করার জন্য দলটি মুক্তি ১ মে ২০১৬ পর্যন্ত আরও পিছিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল। অবশেষে, ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে থানু দুটি ছবির মধ্যে মুক্তির তারিখ পরিবর্তনের ঘোষণা দেন এবং থেরি ১৪ই এপ্রিল প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায়।
0.5
23.381357
20231101.bn_694393_3
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%8B%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%83%E0%A6%B0%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%A8
জ্যোতিঃরসায়ন
অ্যাথানাসিয়াস কেরচার (১৬৪৬), জন মারেক মার্সি (১৬৪৮), রবার্ট বয়েল (১৬৬৪), এবং ফ্রান্সেসকো মারিয়া গ্রিমালডি (১৬৬৫) এর দ্বারা সৌর স্পেকট্রারের পর্যবেক্ষণগুলি সর্বপ্রথম নিউটন এর ১৬৬৬কাজকে পূর্বাভাস দিয়েছিল, যা আলোর বর্ণালি প্রকৃতি প্রতিষ্ঠা করেছিল এবং এর ফলে প্রথম বর্ণালীবীক্ষণ। ১৮০২ সালে উইলিয়াম হাইড উইলস্টন এর পরীক্ষার সাথে স্পেকট্রোসকপিটি প্রথমত একটি জ্যোতির্বিদ্যা কৌশল হিসাবে ব্যবহৃত হয়, যিনি সৌর বিকিরণে উপস্থিত বর্ণালি রেখা পর্যবেক্ষণ করতে একটি স্পেকট্রমিটার তৈরি করেছিলেন। পরে এই বর্ণালি লাইন জোসেফ ভন ফ্রুনহফারের কাজের মাধ্যমে পরিমাপ করা হয়েছিল।
0.5
23.279322
20231101.bn_694393_4
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%8B%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%83%E0%A6%B0%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%A8
জ্যোতিঃরসায়ন
চার্লস হুইটস্টোন এর ১৮৩৫ এর প্রতিবেদনটি প্রকাশ করার পরে স্পেকট্রোসকপিটি প্রথমত বিভিন্ন উপকরণগুলির মধ্যে পার্থক্য করার জন্য ব্যবহৃত হয় যা বিভিন্ন ধাতুগুলির দ্বারা প্রদত্ত স্পার্কগুলি পৃথক নির্গমন স্পেকট্রার ধারণ করে। এই পর্যবেক্ষণটি পরবর্তীতে লিওন ফাউকোল্ট দ্বারা নির্মিত হয়েছিল, যিনি ১৮৪২ সালে প্রদর্শিত করেছিলেন যে একই তাপমাত্রায় একই ধরনের উপাদান এবং শোষণের লাইনগুলি ভিন্ন তাপমাত্রায় ফলিত হয়। ১৮৫৩ সালে অ্যান্টিসকা আন্ডারসকিংগারে ১৮৮৭ সালে অ্যান্ডার জোনাস আংস্ট্রস্ট্রমের একটি সমতুল্য বক্তব্য স্বাধীনভাবে পোস্ট করা হয়েছিল যেখানে এটি তত্ত্বিত হয়েছিল যে আলোকিত গ্যাসগুলি একই ফ্রিকোয়েন্সিতে আলোর রশ্মি নির্গমন করে যা তারা শোষণ করতে পারে।
0.5
23.279322
20231101.bn_694393_5
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%8B%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%83%E0%A6%B0%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%A8
জ্যোতিঃরসায়ন
জোহান বেলমারের পর্যবেক্ষণের সাথে এই বর্ণালীগত তথ্যটি তত্ত্বগত গুরুত্বের সাথে গ্রহণ করা শুরু করে যে হাইড্রোজেনের নমুনা দ্বারা বর্ণিত বর্ণালি লাইনগুলি একটি সহজ অভিজ্ঞতামূলক সম্পর্ক অনুসরণ করে যা বামার সিরিজ নামে পরিচিত। এই সিরিজ, ১৮৮৮ সালে জোহানেস রিডবার্গ দ্বারা উন্নত আরও সাধারণ রাইডবার্গ ফর্মুলার একটি বিশেষ ক্ষেত্রে, হাইড্রোজেন জন্য বর্ণিত বর্ণালি লাইন বর্ণনা করতে নির্মিত হয়েছিল। রাইডবার্গ এর কাজ একাধিক বিভিন্ন রাসায়নিক উপাদানগুলির জন্য বর্ণালি রেখাগুলির গণনা করার অনুমতি দিয়ে এই সূত্রের উপর প্রসারিত হয়েছিল। এই বর্ণালীগত ফলাফলের জন্য প্রদত্ত তাত্ত্বিক গুরুত্বটি কোয়ান্টাম মেকানিক্সের বিকাশের উপর ব্যাপকভাবে প্রসারিত হয়েছিল, কারণ তত্ত্বটি এই ফলাফলগুলিকে পারমাণবিক এবং আণবিক নির্গমনের বর্ণের সাথে তুলনা করার অনুমতি দেয় যা পূর্বে একটি গণনা করা হয়েছিল।
0.5
23.279322
20231101.bn_694393_6
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%8B%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%83%E0%A6%B0%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%A8
জ্যোতিঃরসায়ন
১৯৩০-এর দশকে রেডিও জ্যোতির্বিজ্ঞানটি বিকশিত হয়েছিল, তবে ১৯৩৭ সাল পর্যন্ত এটি ছিল না যে একটি আন্তঃসম্পর্কীয় অণু পর্যন্ত চূড়ান্ত শনাক্তকরণের জন্য যে কোনও উল্লেখযোগ্য প্রমাণ উদ্ভূত হয়েছিল, এই বিন্দু পর্যন্ত, কেবলমাত্র রাসায়নিক পদার্থটি অন্তর্বর্তী স্থানগুলিতে বিদ্যমান বলে পরিচিত ছিল পরমাণু। এই ফলাফল ১৯৪০ সালে নিশ্চিত করা হয়েছিল, যখন ম্যাককালার এট আল। চিহ্নিত এবং স্বতন্ত্র স্পেসস্কোপিক লাইনগুলির মধ্যে ইন্টার-স্টেলার স্পেসে সিএ এবং সিএন অণুগুলির অভাবে শনাক্ত হওয়া রেডিও পর্যবেক্ষণ। ত্রিশ বছর পরে, অন্যান্য অণুগুলির একটি ছোট্ট নির্বাচন অন্বেষণকারী স্থানটিতে আবিষ্কৃত হয়: 1963 সালে আবিষ্কৃত ওএটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং এটি ইন্টারস্টেলার অক্সিজেনের উৎস হিসাবে উল্লেখযোগ্য, এবং এইচ ২ সি (ফরমালডিহাইড), ১৯৬৯ সালে আবিষ্কৃত এবং উল্লেখযোগ্য প্রথম পর্যবেক্ষিত জৈব, ইন্টারস্টেলার স্পেসে পলিটোমিক অণু হওয়ার জন্য
0.5
23.279322
20231101.bn_694393_7
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%8B%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%83%E0%A6%B0%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%A8
জ্যোতিঃরসায়ন
ইন্টারস্টেলার ফরমালডিহাইড আবিষ্কার - এবং পরে, সম্ভাব্য জৈবিক তাত্পর্য যেমন জল বা কার্বন মনোক্সাইডের সাথে অন্যান্য অণুগুলি - জীবনের কিছু মৌলিক তত্ত্বের পক্ষে শক্তিশালী সমর্থক প্রমাণ হিসাবে দেখা যায়: বিশেষত, তত্ত্ব যা জীবন মৌলিক আণবিক উপাদান থেকে এসেছে বহিরাগত সূত্র। এটি ২০০৯ সালে আবিষ্কৃত ইন্টারস্টেলার গ্লাসাইন, যা জৈবিকভাবে প্রাসঙ্গিক বৈশিষ্ট্য যেমন চেরাল্টি - যা উদাহরণস্বরূপ (প্রোপাইলিন অক্সাইড) আবিষ্কার করা হয়েছিল, তার সন্ধান করা হয়েছে এমন আন্তঃচৈতন্য অণুগুলির জন্য এখনও চলমান অনুসন্ধানের সূচনা করেছে - ২০১৬ আরও মৌলিক জ্যোতির্বিজ্ঞান গবেষণা পাশাপাশি।
1
23.279322
20231101.bn_694393_8
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%8B%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%83%E0%A6%B0%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%A8
জ্যোতিঃরসায়ন
জ্যোতিঃরসায়ন এর মধ্যে একটি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষামূলক সরঞ্জাম হল বিভিন্ন পরিবেশে অণু এবং পরমাণু থেকে আলোর শোষণ এবং নির্গমন পরিমাপ পরিমাপ করার জন্য দূরবীক্ষণ ব্যবহার করে স্পেকট্রস্কপি। গবেষণামূলক পরিমাপের সাথে জ্যোতির্বিজ্ঞান পর্যবেক্ষণের তুলনা করে, আস্ট্রোকিমিস্টগুলি মৌলিক প্রাচুর্য, রাসায়নিক গঠন, এবং তারার তাপমাত্রা এবং আন্তঃস্থিতিক মেঘের অনুমান করতে পারে। এটি সম্ভব কারণ আয়ন, পরমাণু এবং অণুগুলিতে চারিত্রিক বৈশিষ্ট রয়েছে: অর্থাৎ, আলোর কিছু তরঙ্গদৈর্ঘ্য (রং) শোষণ এবং নির্গমন, যা মানুষের চোখে দৃশ্যমান নয়। যাইহোক, এই পরিমাপের সীমাবদ্ধতা রয়েছে, বিভিন্ন ধরনের বিকিরণ (রেডিও, ইনফ্রারেড, দৃশ্যমান, অতিবেগুনী ইত্যাদি) অণুর রাসায়নিক বৈশিষ্ট্যগুলির উপর নির্ভর করে শুধুমাত্র নির্দিষ্ট প্রজাতির প্রজাতি শনাক্ত করতে সক্ষম। ইন্টারস্টেলার ফরমালডিহাইড ইন্টারস্টেলার মাধ্যমের মধ্যে শনাক্ত প্রথম জৈব অণু ছিল।
0.5
23.279322
20231101.bn_694393_9
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%8B%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%83%E0%A6%B0%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%A8
জ্যোতিঃরসায়ন
সম্ভবত পৃথক রাসায়নিক প্রজাতির শনাক্তকরণের সবচেয়ে শক্তিশালী কৌশল হচ্ছে রেডিও জ্যোতির্বিজ্ঞান যা র‌্যাডিকেল এবং আয়ন এবং জৈব (যেমন কার্বন-ভিত্তিক) যৌগ, যেমন অ্যালকোহল, অ্যাসিড, অ্যালডিহাইডস সহ একশত আন্তঃচঞ্চলীয় প্রজাতির শনাক্তকরণের ফলে ঘটেছে।, এবং কেটোন। সর্বাধিক প্রাচুর্যপূর্ণ অণুর অণুগুলির মধ্যে একটি, এবং রেডিও তরঙ্গগুলি শনাক্ত করার পক্ষে সবচেয়ে সহজে (এটির শক্তিশালী বৈদ্যুতিক ডাইপোল মুহূর্তের কারণে) সিও (কার্বন মোনোক্সাইড)। আসলে, সিও এমন একটি সাধারণ আন্তঃসম্পর্কীয় অণু যা এটি আণবিক অঞ্চলের মানচিত্রের জন্য ব্যবহৃত হয়। সম্ভবত সর্বাধিক মানুষের স্বার্থের রেডিও পর্যবেক্ষণটি ইন্টারস্টেলার গ্লিসিনের দাবি সর্বাধিক অ্যামিনো অ্যাসিড, তবে বেশিরভাগ বিতর্কিত বিতর্কের সাথে। এই শনাক্তকরণটি কেন বিতর্কিত ছিল তার একটি কারণ হল যে যদিও রেডিও (এবং ঘূর্ণমান বর্ণালি বর্ণের মতো কিছু অন্যান্য পদ্ধতি) বৃহত ডাইপোল মুহূর্তগুলির সাথে সহজ প্রজাতির শনাক্তকরণের জন্য ভাল তবে এটি জটিল জটিল অণুগুলির জন্য কম সংবেদনশীল, এমনকি এমিনো অ্যাসিড।
0.5
23.279322
20231101.bn_694393_10
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%8B%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%83%E0%A6%B0%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%A8
জ্যোতিঃরসায়ন
তাছাড়া, এই পদ্ধতির কোন ডাইপোল নেই এমন অণুর সম্পূর্ণরূপে অন্ধ। উদাহরণস্বরূপ, মহাবিশ্বের সবচেয়ে সাধারণ অণু হ'ল H" data-mw-charinsert-end="" class="mw-charinsert-item">2 (হাইড্রোজেন গ্যাস), তবে এটি একটি ডাইপোল মুহূর্ত নেই, তাই এটি রেডিও টেলিস্কোপগুলিতে অদৃশ্য। তাছাড়া, এই পদ্ধতি গ্যাস-পর্যায়ে না এমন প্রজাতি শনাক্ত করতে পারে না। ঘন আণবিক মেঘ খুব ঠান্ডা (১০ থেকে ৫০ কে [-২৬৩.১ থেকে -২৩.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস; -৪৪১.৭ থেকে -৩৬৯.৭ ডিগ্রি ফারেনহাইট]), যেহেতু তাদের মধ্যে অধিকাংশ অণু (হাইড্রোজেন ছাড়াও) হিমায়িত হয়, যেমন কঠিন। পরিবর্তে, হাইড্রোজেন এবং এই অন্যান্য অণু আলোর অন্যান্য তরঙ্গদৈর্ঘ্য ব্যবহার করে শনাক্ত করা হয়। হাইড্রোজেনটি অতিবেগুনী (ইউভি) এবং তার শোষণ এবং আলোকে নির্গমন (হাইড্রোজেন লাইন) থেকে দৃশ্যমান রেঞ্জে সহজে শনাক্ত করা হয়। তাছাড়া, বেশিরভাগ জৈব যৌগ ইনফ্রারেড (আইআর) এ আলোর শোষণ করে এবং নির্গমন করে, উদাহরণস্বরূপ, মঙ্গলের বায়ুমন্ডলে মিথেন শনাক্তকরণ আইআর গ্রাউন্ড-ভিত্তিক দূরবীক্ষণ যন্ত্রের সাহায্যে, নাসা এর ৩-মিটার ইনফ্রারেড টেলিস্কোপ সুবিধাটি উপরিভাগে ব্যবহার করা হয় মাউনা কেয়া, হাওয়াই। নাসা গবেষণাবিদরা তাদের পর্যবেক্ষণ, গবেষণা এবং বৈজ্ঞানিক ক্রিয়াকলাপের জন্য বায়ুবাহিত আইআর টেলিস্কোপ সফিউয়া এবং স্পেস টেলিস্কোপ স্পিজার ব্যবহার করেন। মঙ্গলের বায়ুমন্ডলে মিথেনের সাম্প্রতিক শনাক্তকরণের সাথে কিছুটা সম্পর্কিত। নিউ জিল্যান্ডের ক্যানটারবারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিস্টোফার ওজ এবং তার সহকর্মীরা মঙ্গলবার ২০১২ সালের জুন মাসে মঙ্গল গ্রহের হাইড্রোজেন এবং মিথেন স্তরের অনুপাত পরিমাপ করতে পারে বলে মঙ্গলবার জানায়। বিজ্ঞানীদের মতে, "... কম এইচ ২ / সি ৪ ৪ অনুপাত (প্রায় ৪০ এর চেয়ে কম) নির্দেশ করে যে জীবন সম্ভবত বর্তমান এবং সক্রিয়।" অন্যান্য বিজ্ঞানীরা অতি সম্প্রতি মহাকাশচারী বায়ুমণ্ডলে হাইড্রোজেন এবং মিথেন শনাক্ত করার পদ্ধতিগুলি রিপোর্ট করেছেন।
0.5
23.279322
20231101.bn_694393_11
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%8B%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%83%E0%A6%B0%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%A8
জ্যোতিঃরসায়ন
ইনফ্রারেড জ্যোতির্বিজ্ঞানটি প্রকাশ করেছে যে ইন্টারস্টেলার মিয়ামে পলিয়ারোমেটিক হাইড্রোকার্বন নামক জটিল গ্যাস-ফেজ কার্বন যৌগগুলির একটি স্যুট রয়েছে, যা প্রায়শই পিএইচএইচ বা পিএসিগুলির সংক্ষেপিত। মূলত কার্বনগুলির (সম্ভবত নিরপেক্ষ বা আয়নযুক্ত অবস্থায়) গঠিত এই অণুগুলি, গ্যালাক্সিতে কার্বন যৌগের সবচেয়ে সাধারণ শ্রেণী বলে মনে করা হয়। তারা উল্কা এবং সমুদ্র এবং গ্রহাণু ধুলো (মহাজাগতিক ধুলো) মধ্যে কার্বন অণু সবচেয়ে সাধারণ বর্গ। এই যৌগসমূহের পাশাপাশি অ্যামিনো অ্যাসিড, নিউক্লিয়াসেস এবং মিটিয়েটের অন্যান্য যৌগগুলি কার্বন, নাইট্রোজেন এবং অক্সিজেনের ডায়োটেরিয়াম এবং আইসোটোপ বহন করে যা পৃথিবীতে খুব বিরল এবং তাদের বহিঃপ্রকাশের উৎপত্তি প্রমাণ করে। PAHs(পিএএইচ স) হট সার্জারার পরিবেশে (প্রায় মরণ, কার্বন সমৃদ্ধ লাল দৈত্য বড়) গঠন বলে মনে করা হয়।
0.5
23.279322
20231101.bn_1141066_12
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A5%E0%A7%87%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%A5%E0%A6%BE
থেরীগাথা
থেরীগাথা গ্রন্থটিকে নারীর আধ্যাত্মিক জীবন-সংক্রান্ত গ্রন্থগুলির আদিতম উদাহরণ হিসেবে গণ্য করা হলেও, মনে করা হয় যে এটি রচিত হয়েছিল বুদ্ধের প্রয়াণের প্রায় দুই শতাব্দী পরে। থেরীগাথার বেশ কয়েকটি কবিতার রচয়িতার নাম উল্লিখিত হয়েছে বটে, কিন্তু সঠিক কে এগুলি রচনা করেছিলেন তা অনুমানসাপেক্ষ।
0.5
23.227206
20231101.bn_1141066_13
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A5%E0%A7%87%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%A5%E0%A6%BE
থেরীগাথা
থানিস্সরো ভিক্ষুর মতে, “কোনও কোনও গবেষকের মনে করেন যে থেরীগাথা সংকলিত হয়েছিল এক আন্দোলনের অঙ্গ হিসেবে, যে আন্দোলনের উদ্দেশ্য ছিল জনসাধারণের উদ্দেশ্যে প্রদত্ত উপদেশকে আকর্ষণীয় করে তোলার উদ্দেশ্যে আদি বৌদ্ধধর্মকে কিছু নাটকীয় রচনা প্রদান করা।” গ্রন্থের অন্তর্গত বেশ কয়েকটি কবিতার রচনাশৈলী এই তত্ত্বকে সমর্থন করে। এই কবিতাগুলির পাঠ এক ভিক্ষুণীর জীবনের ঘটনার বাস্তবসম্মত বর্ণনার অনুরূপ নয়, বরং কতকটা নাটকীয় সংলাপের ন্যায়।
0.5
23.227206
20231101.bn_1141066_14
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A5%E0%A7%87%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%A5%E0%A6%BE
থেরীগাথা
থানিস্সরো ভিক্ষু আরও মনে করেন, যেভাবে কবিতাগুলির সূচনায় “আমি শীতল হয়েছি”, “আমি শান্ত হয়েছি” বা “মুক্ত” শব্দবন্ধগুলি ব্যবহার করা হয়েছে,—তা বোধির অভাব ও নিজের প্রতি আসক্তির কিছুটা অবশিষ্ট থাকার ইঙ্গিতবাহী। অনেক কবিতার বিষয়বস্তু কীভাবে লেখক বোধি অর্জন করলেন সেই বৃত্তান্ত। কিন্তু অন্যান্য বৌদ্ধ গ্রন্থে সেই বৃত্তান্তগুলিকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হলেও থেরীগাথায় তা সংক্ষিপ্ত আকারে বর্ণিত। উদাহরণস্বরূপ, এই গ্রন্থগুলিতে ইঙ্গিত করা হয় যে দেহের প্রতি আসক্তি বর্জন বোধিলাভের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয়। বর্ণনার অভাব বোধিলাভের পথে সামান্য জাগরণের পরিবর্তে সম্পূর্ণ বোধিলাভই ইঙ্গিত করে।
0.5
23.227206
20231101.bn_1141066_15
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A5%E0%A7%87%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%A5%E0%A6%BE
থেরীগাথা
নাটকীয় রচনায় বর্ণনার অভাবের বিষয়টি বোঝা যায়। নাটকীয়তা থেকে অতিরঞ্জন বাদ দিলে তার মধ্যে অন্তর্নিহিত বার্তাটির উপর অধিকতর গুরুত্ব আরোপ সম্ভব। তবে এগুলিকে সত্য ঘটনা বলে ধরে নিলে বৌদ্ধধর্মের প্রথাগুলির সম্পর্কে সম্পূর্ণ বিবরণ পাওয়া সম্ভব হয় না।
0.5
23.227206
20231101.bn_1141066_16
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A5%E0%A7%87%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%A5%E0%A6%BE
থেরীগাথা
আদি সংঘে নারীদের ভূমিকা ও দক্ষতা বিষয়ক অপর একটি শাস্ত্রসংকলন সংযুত্তনিকায়ের পঞ্চম ভাগে পাওয়া যায়। এটির নাম ভিক্ষুণীসংযুত্ত ("ভিক্ষুণীদের সংযুক্ত আলোচনা)"।
1
23.227206
20231101.bn_1141066_17
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A5%E0%A7%87%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%A5%E0%A6%BE
থেরীগাথা
থেরিগাথায় যে ভিক্ষুণীদের কবিতা পাওয়া যায়, তাঁর কবিতা খুদ্দকনিকায়ের অন্তর্গত অপদান পুস্তকেরও অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। থেরি অপদান গ্রন্থে ৪০ জন বৌদ্ধ ভিক্ষুণীর কবিতা সংকলিত হয়েছে। এই কবিতাগুলিতে তাঁরা তাঁদের পূর্ববর্তী জীবনের স্মৃতিচারণা করেছেন। এছাড়া মূলসর্বাস্তিবাদ সম্প্রদায়ের দু’টি অবদান পুস্তকও পাওয়া যায়: অবদানশতক (সংস্কৃত, তিব্বতি ও চীনা ভাষায় পাওয়া যায়) এবং কর্মশতক (শুধুমাত্র তিব্বতি ভাষায় পাওয়া যায়)।
0.5
23.227206
20231101.bn_1141066_18
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A5%E0%A7%87%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%A5%E0%A6%BE
থেরীগাথা
মধ্যযুগীয় থেরবাদী ভিক্ষু ধম্মপাল পালি ভাষায় থেরীগাথার একটি টীকা রচনা করেন। এই গ্রন্থের উইলিয়াম প্রুট কৃত অনুবাদটি (১৯৯৮) পালি টেক্সট সোসাইটি থেকে কমেন্ট্রি অন দ্য ভার্সেস অফ দ্য থেরীজ: থেরীগাথা-অট্ঠকথা: পরমত্থদীপনী সিক্স নামে প্রকাশিত হয়।
0.5
23.227206
20231101.bn_1141066_19
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A5%E0%A7%87%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%A5%E0%A6%BE
থেরীগাথা
এছাড়া অঙ্গুত্তরনিকায়ের একটি থেরবাদী টীকাতেও বুদ্ধের শিষ্যবর্গের ইতিহাস, তাঁদের পূর্ববর্তী জীবন ও কর্মের বিস্তারিত বিবরণ পাওয়া যায়। এই গ্রন্থের একটি অংশের নাম এতদগ্গবগ্গ টীকা। এই অংশে ১৩ জন বিশিষ্ট ভিক্ষুণীর অতীত-বিবরণ দেওয়া হয়েছে। এঁদের নাম থেরীগাথাতেও উল্লিখিত হয়েছে। এই জীবনীগুলি আনন্দজোতি ভিক্ষু কর্তৃক অনূদিত হয়েছে।
0.5
23.227206
20231101.bn_1141066_20
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A5%E0%A7%87%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%A5%E0%A6%BE
থেরীগাথা
ক্যাথরিন আর. ব্ল্যাকস্টোনের উইমেন ইন দ্য ফুটস্টেপস অফ দ্য বুদ্ধ: স্ট্রাগল ফর লিবারেশন ইন দ্য থেরীগাথা (১৯৯৮) গ্রন্থটি থেরীগাথা-সংক্রান্ত একটি আধুনিক গবেষণা গ্রন্থ। বিজিতা রাজাপক্ষে তাঁর দ্য থেরীগাথা: আ রিভ্যালুয়েশন (২০০০) গ্রন্থে থেরীগাথার নারীবাদী, ধর্মীয় ও দার্শনিক বিষয়গুলি বিশ্লেষণ করেছেন। ক্যুং পেগি কিম মেইল ডাইভার্সিটি ইন দ্য উইমেন অফ দ্য থেরীগাথা (২০২০) গ্রন্থে থেরীগাথায় উল্লিখিত নারীদের সামাজিক প্রেক্ষাপট নিয়ে আলোচনা করেছেন।
0.5
23.227206
20231101.bn_1121650_0
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A1%E0%A6%BF%E0%A6%A8
গ্যাবার্ডিন
গ্যাবার্ডিন হল একটি শক্ত, শক্তভাবে বোনা কাপড়, যা স্যুট, ওভারকোট, ট্রাউজার, ইউনিফর্ম, উইন্ডব্রেকার এবং অন্যান্য পোশাক তৈরি করতে ব্যবহৃত হয়।
0.5
23.214784
20231101.bn_1121650_1
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A1%E0%A6%BF%E0%A6%A8
গ্যাবার্ডিন
গ্যাবারডাইন বা গ্যাবার্ডাইন শব্দটি পোশাকের একটি নির্দিষ্ট আইটেম বোঝাতে ব্যবহার করা হয়েছে, এটি এক ধরনের লম্বা ক্যাসক কিন্তু প্রায়ই সামনের দিকে খোলা থাকে, অন্তত ১৫ শতক থেকে ১৬ তম দশকে দরিদ্রদের বাইরের পোশাকের জন্য ব্যবহৃত হয় এবং পরে একটি বৃষ্টির পোশাক বা প্রতিরক্ষামূলক স্মোক-ফ্রক বোঝায়।
0.5
23.214784
20231101.bn_1121650_2
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A1%E0%A6%BF%E0%A6%A8
গ্যাবার্ডিন
পোশাকের পরিবর্তে ফ্যাব্রিক শব্দটির আধুনিক ব্যবহার ইংল্যান্ডের হ্যাম্পশায়ারের বেসিংস্টোকে বারবারি ফ্যাশন হাউসের প্রতিষ্ঠাতা থমাস বারবারির সময় থেকে প্রচলিত যিনি ফ্যাব্রিকটি আবিষ্কার করেছিলেন এবং ১৮৭৯ সালে নামটিকে পুনরুজ্জীবিত করেছিলেন এবং ১৮৮৮ সালে পেটেন্ট করেছিলেন। গ্যাবার্ডিন ১৮৭৯ সালে বারবারি ক্লোথিং দ্বারা প্রবর্তিত হলে এটির সর্বজনীন উপস্থিতি ঘটে।
0.5
23.214784
20231101.bn_1121650_3
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A1%E0%A6%BF%E0%A6%A8
গ্যাবার্ডিন
আসল ফ্যাব্রিকটি খারাপ উল ছিল, কখনও কখনও তুলোর সাথে মিলিত হয়, এবং বুননের আগে ল্যানলিন ব্যবহার করে পাানরোধী ছিল। ফাইবারটি বিশুদ্ধ তুলা, টেক্সচারাইজড পলিয়েস্টার বা একটি মিশ্রণও হতে পারে।
0.5
23.214784
20231101.bn_1121650_4
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A1%E0%A6%BF%E0%A6%A8
গ্যাবার্ডিন
গাবার্ডিন একটি পাটা-মুখী খাড়া বা নিয়মিত টুইল হিসাবে বোনা হয়, মুখের উপর একটি বিশিষ্ট তির্যক পাঁজর এবং পিছনে মসৃণ পৃষ্ঠ। গ্যাবার্ডিনে সবসময় ওয়েফট সুতার চেয়ে অনেক বেশি পাটা থাকে।
1
23.214784
20231101.bn_1121650_5
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A1%E0%A6%BF%E0%A6%A8
গ্যাবার্ডিন
গ্যাবার্ডিনের বারবারি পোশাক মেরু অভিযাত্রীদের দ্বারা পরিধান করা হয়েছিল, যার মধ্যে ১৯১২ সালে দক্ষিণ মেরুতে পৌঁছানো প্রথম ব্যক্তি রোয়ালড আমুন্ডসেন এবং আর্নেস্ট শ্যাকলটন, যিনি ১৯১৪ সালে অ্যান্টার্কটিকা অতিক্রম করার জন্য একটি অভিযানের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। এই উপাদান দিয়ে তৈরি একটি জ্যাকেট জর্জ ম্যালরি ১৯২৪ সালে মাউন্ট এভারেস্টে তার দুর্ভাগ্যজনক প্রচেষ্টায় পরেছিলেন।
0.5
23.214784
20231101.bn_1121650_6
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A1%E0%A6%BF%E0%A6%A8
গ্যাবার্ডিন
গ্যাবার্ডিন ১৯৫০ এর দশকে রঙিন প্যাটার্নযুক্ত নৈমিত্তিক জ্যাকেট, ট্রাউজার এবং স্যুট তৈরি করতে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়েছিল। জেসি পেনি, স্পোর্ট চিফ, ক্যাম্পাস, ফোর স্টার এবং ক্যালিফোর্নিয়া ট্রেন্ডস-এর মতো কোম্পানিগুলি ছোট-কোমরযুক্ত জ্যাকেট তৈরি করত, কখনও কখনও উল্টানো যায়, যা সাধারণত উইকেন্ডার জ্যাকেট নামে পরিচিত।
0.5
23.214784
20231101.bn_1121650_7
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A1%E0%A6%BF%E0%A6%A8
গ্যাবার্ডিন
কটন গ্যাবার্ডিন প্রায়শই বেসপোক টেইলররা স্যুটের জন্য পকেটের আস্তরণ তৈরি করতে ব্যবহার করে, যেখানে পকেটের বিষয়বস্তুগুলি দ্রুত পকেটের আস্তরণের উপাদানগুলিতে গর্ত করে।
0.5
23.214784
20231101.bn_1121650_8
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A1%E0%A6%BF%E0%A6%A8
গ্যাবার্ডিন
গ্যাবার্ডিন থেকে তৈরি পোশাকগুলিকে সাধারণত শুষ্ক পরিষ্কারের জন্য উপযুক্ত হিসাবে লেবেল করা হয়, যেমনটি উলের টেক্সটাইলের জন্য সাধারণ।
0.5
23.214784
20231101.bn_966696_1
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%96%E0%A7%8B%E0%A6%B8
দিকাইয়ারখোস
তিনি ৩৫০ খ্রিস্টপূর্বের দিকে সিসিলির মেসিনায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম ছিল ফেইদিয়াস। তিনি তার জীবনের বৃহত্তর অংশ গ্রিসে কাটিয়েছেন, বিশেষত পেলোপনেসে। তিনি এরিস্টটলের শিষ্য এবং থিওফ্রাস্টাসের বন্ধু ছিলেন। তার কয়েকটি লেখা তিনি থিওফ্রেটাসকে উৎসর্গ করেন। তিনি ২৮৫ খ্রিস্টপূর্বের দিকে মৃত্যুবরণ করেন।
0.5
23.199035
20231101.bn_966696_2
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%96%E0%A7%8B%E0%A6%B8
দিকাইয়ারখোস
দিকাইয়ারখোস দার্শনিক এবং জ্ঞানী মানুষ হিসাবে অত্যন্ত সম্মানিত ছিল। বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে তার বিস্তৃত জ্ঞান থাকায় প্রাচীন গ্রিকরা তাকে শ্রদ্ধা করতো। তার রচিত লেখা কেবল পরবর্তী লেখকদের উদ্ধৃতি থেকে জানা যায়। তার রচনাগুলো ভূগোল, রাজনীতি, ইতিহাস, দর্শন এবং গণিত বিষয়ক ছিল। তবে এগুলোর একটি সঠিক তালিকা তৈরি করা কঠিন। যেহেতু স্বতন্ত্র রচনা হিসাবে উদ্ধৃত করা অনেকগুলো লেখা বৃহত্তর লেখার অংশ বলে মনে হয়। বর্তমানে বিদ্যমান অসম্পূর্ণ লেখাগুলো থেকে সম্পূর্ণ লেখার ধারণা পাওয়া যায় না। এজন্য প্রাচীন গ্রিসের অন্যতম দার্শনিক হওয়া সত্ত্বেও তিনি এতটা বিখ্যাত হতে পারেননি। প্রাকৃতিক বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে তিনি শুধুমাত্র ভূগোল বিষয়ে অবদান রেখেছেন। তিনি পাহাড়ের উচ্চতা পরিমাপের মাধ্যমে পৃথিবী যে গোলক তা প্রমাণ করার চেষ্টা করেছেন। স্ট্রাবোর মতে দিকাইয়ারখোসের ভৌগোলিক লেখাগুলো পলিবিয়াস দ্বারা অনেক ক্ষেত্রে সমালোচিত ছিল। দিকাইয়ারখোস পশ্চিম ও উত্তর ইউরোপে নিজে না গিয়েই সেখানের বর্ণনা দিয়েছেন। তাই স্ট্রাবো নিজেই দিকাইয়ারখোসের পশ্চিম ও উত্তর ইউরোপের বর্ণনায় অসন্তুষ্ট ছিলেন।
0.5
23.199035
20231101.bn_966696_3
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%96%E0%A7%8B%E0%A6%B8
দিকাইয়ারখোস
''গ্রিসে জীবন'' (Life of Greece; Βίος Ἑλλάδος) – এটি তার সবচেয়ে বিখ্যাত লেখা। এটি তিনটি বই নিয়ে গঠিত। এখানে গ্রিসের সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয় ও ঐতিহাসিক দিকগুলো আলোচনা করা হয়েছে। ১ম বইয়ে গ্রিসের ভূগোল ও ইতিহাস আলোচিত হয়েছে। ২য় বইয়ে গ্রিসের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের অবস্থা বর্ণিত হয়েছে। ৩য় বইয়ে গ্রিসের পারিবারিক ও সামাজিক দিকসহ ধর্ম ও খেলাধুলার বিষয় আলোচিত হয়েছে। ১ম শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ের Bios Hellados এবং De Vita Populi Romani বই দুটির লেখক এই লেখা দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়েছিল। এর ২৪টি অসম্পূর্ণ অংশ রয়েছে। দিকাইয়ারখোস গ্রিসের প্রাচীনতম ইতিহাস থেকে দ্বিতীয় ফিলিপের রাজত্বকাল বর্ণনা করতে চেয়েছিলেন। এর সবচেয়ে পরিচিত অংশগুলো ভারো এবং পরফিরি উদ্ধৃত করেছে। এইখানে প্রগতি সম্পর্কে দুটি দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরা হয়েছে। যেমন, কৃষিকাজের উদ্ভবের ফলে উৎপন্ন উদ্বৃত্ত খাদ্য ক্ষুধা দূর করে। কিন্তু এই উদ্বৃত্ত অংশ লোভের উন্মেষ ঘটায় যা যুদ্ধের দিকে পরিচালিত করে। তার মতে, মানুষের প্রত্যেক অগ্রগতি একটি সমস্যা সমাধান করে তবে অন্য সমস্যা বৃদ্ধি করে। এছাড়াও তিনি গ্রিসের সঙ্গীত ও সংস্কৃতির উৎস সম্পর্কে লিখেছেন।
0.5
23.199035
20231101.bn_966696_4
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%96%E0%A7%8B%E0%A6%B8
দিকাইয়ারখোস
''পৃথিবীর সীমানা'' (Circuit of the Earth; Γῆς περίοδος) – দিকাইয়ারখোসের সময়ে পৃথিবীর যতদূর সম্পর্কে জানা ছিল তার মানচিত্র তৈরি করেছিলেন এবং তার বন্ধু থিওফ্রাস্টাসকে দিয়েছিলেন। সম্ভবত সেসব মানচিত্রের ব্যাখ্যা হিসেবে তিনি এই বই লিখেছেন।
0.5
23.199035
20231101.bn_966696_5
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%96%E0%A7%8B%E0%A6%B8
দিকাইয়ারখোস
''গ্রিসের বর্ণনা'' (Description of Greece; Ἀναγραφὴ τῆς Ἑλλάδος) – এটি থিওফ্রাস্টাসকে উৎসর্গ করা ১৫০ চরণবিশিষ্ট অসম্পূর্ণ লেখা। পূর্বে একে সম্পূর্ণ দিকাইয়ারখোসের লেখা মনে করা হতো। তবে প্রথম ২৩ চরণের প্রথম অক্ষর থেকে জানা গিয়েছে যে এটি আসলে ডাইওনাইসাস নামক একজনের লেখা।
1
23.199035
20231101.bn_966696_6
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%96%E0%A7%8B%E0%A6%B8
দিকাইয়ারখোস
''পর্বতের উচ্চতা সম্পর্কে'' (On the heights of mountains) – এটি সম্ভবত ''পৃথিবীর সীমানা''-র অংশ। ত্রিভুজীকরনের (triangulation) মাধ্যমে বিভিন্ন পাহাড়ের উচ্চতা পরিমাপের প্রথমতম প্রচেষ্টা এখানে পাওয়া যায়।
0.5
23.199035
20231101.bn_966696_7
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%96%E0%A7%8B%E0%A6%B8
দিকাইয়ারখোস
''ট্রফোনিয়াসে অবতরণ'' (Descent into Trophonius; Ἡ εἰς Τροφωνίου κατάβασις) – কয়েকটি বই জুড়ে এটি লেখা হয়েছে। অসম্পূর্ণ অংশের কিছু উদ্ধৃতি থেকে জানা যায় যে, এইখানে ট্রফোনিয়াস গুহার পুরোহিতদের উচ্ছৃঙ্খল ও চরিত্রহীন কর্মকাণ্ডের ঘটনা বর্ণিত হয়েছে। এছাড়াও এখানে স্বপ্নের মাধ্যমে ভবিষ্যদ্বাণীর বিষয়টি আলোচিত হয়েছে। তবে তিনি মনে করতেন যে, ভবিষ্যৎ জানার চেয়ে না জানাই উত্তম।
0.5
23.199035
20231101.bn_966696_8
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%96%E0%A7%8B%E0%A6%B8
দিকাইয়ারখোস
''স্পারটান সংবিধান'' (Spartan Constitution; Πολιτεία Σπαρτιατῶν), ''অলিম্পিক সংলাপ'' (Olympic Dialogue; Ὀλυμπικὸς ἀγών) ''প্যানাথেনাইক সংলাপ'' (Panathenaic Dialogue; Παναθηναικός) এর পাশাপাশি অন্যান্য কিছু লেখা ''গ্রিসে জীবন'' এর অধ্যায় ছিল।
0.5
23.199035
20231101.bn_966696_9
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%96%E0%A7%8B%E0%A6%B8
দিকাইয়ারখোস
দিকাইয়ারখোসকে ''গ্রিসের শহর'' (The Cities of Greece) নামক বইয়ের লেখক মনে করা হয়েছিল। এখন জানা গিয়েছে যে, এটি আসলে হেরাক্লিডেস নামক অজানা এক লেখকের বই।
0.5
23.199035
20231101.bn_879631_0
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%86%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A7%81%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A7
আদিবুদ্ধ
বজ্রযান বৌদ্ধধর্মে আদিবুদ্ধ () হলেন "প্রথম বুদ্ধ" বা "আদ্যকালীন বুদ্ধ"। তাঁর অপর একটি সুপরিচিত নাম হল ধর্মকায় বুদ্ধ।
0.5
23.109423
20231101.bn_879631_1
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%86%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A7%81%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A7
আদিবুদ্ধ
"আদিবুদ্ধ" শব্দটি বৌদ্ধ তান্ত্রিক সাহিত্য থেকে উদ্ভূত। বিশেষত কালচক্র গ্রন্থে এই শব্দটি বিশেষ গুরুত্ব সহকারে আলোচিত হয়েছে। "আদি" শব্দের অর্থ"প্রথম", এবং সেই অর্থে "আদিবুদ্ধ" বলতে বোঝায় যিনি প্রথম বুদ্ধত্ব অর্জন করেছিলেন। "আদি" শব্দের অপর অর্থ "আদ্যকালীন"; এই অর্থে শব্দটি কোনও ব্যক্তিবাচক নয়, বরং সকল চেতন সত্ত্বায় উপস্থিত এক সহজাত প্রজ্ঞার ইঙ্গিতবহ।
0.5
23.109423
20231101.bn_879631_2
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%86%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A7%81%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A7
আদিবুদ্ধ
ইন্দো-তিব্বতি বৌদ্ধধর্মে আদিবুদ্ধ শব্দটির দ্বারা প্রায়শই বুদ্ধ সমন্তভদ্র (র্নিং-মা সম্প্রদায়ে), বজ্রধর বা কালচক্রকে (সর্মা সম্প্রদায়ে) নির্দেশ করা হয়।
0.5
23.109423
20231101.bn_879631_3
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%86%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A7%81%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A7
আদিবুদ্ধ
ভারতে মঞ্জুশ্রীকেও আদিবুদ্ধ গণ্য করার একটি ধারা বিদ্যমান ছিল। উদাহরণস্বরূপ, মঞ্জুশ্রীনামসংগীতি গ্রন্থের বিলাসবজ্র-কৃত ভাষ্যের উল্লেখ করা যেতে পারে। বিলাসবজ্র তাঁর ভাষ্যে লিখেছেন:জ্ঞান-সত্ত্বা মঞ্জুশ্রী দশ ভূমির অধিপতি বোধিসত্ত্ব নন, বরং অদ্বয়জ্ঞান ও প্রজ্ঞাপারমিতা স্বয়ং।
0.5
23.109423
20231101.bn_879631_4
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%86%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A7%81%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A7
আদিবুদ্ধ
অ্যান্টনি ট্রাইবের মতে, এই ধারাটি সম্ভবত গুহ্যসমাজ ভাষ্যের জ্ঞানপাদ শাখাটিকে প্রভাবিত করেছিল। সেই কারণেই উক্ত শাখায় মঞ্জুবজ্রকে (মঞ্জুশ্রীর একটি তান্ত্রিক রূপভেদ) গুহ্যসমাজ মণ্ডলের কেন্দ্রে স্থান দেওয়া হয়।
1
23.109423
20231101.bn_879631_5
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%86%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A7%81%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A7
আদিবুদ্ধ
কালচক্র পরম্পরায় আদিবুদ্ধের ধারণাটি বর্ণনা করতে গিয়ে ভেসনা ওয়ালেস বলেছেন::কালচক্র পরম্পরায় যখন অনাদি ও অনন্ত বুদ্ধ অর্থে আদিবুদ্ধের কথা বলা হয়, তখন তা সকল সচেতন সত্ত্বার মনে পরিব্যাপ্ত সহজাত জ্ঞানের কথা ইঙ্গিত করে। এটিই সংসার ও নির্বাণের মূল ভিত্তি। পক্ষান্তরে যখন অবিনশ্বর সুখের মাধ্যমে পরম প্রজ্ঞা অর্জনকারী প্রথম ব্যক্তি অর্থে আদিবুদ্ধের কথা বলা হয়, এবং যখন এই শব্দটির মাধ্যমে পরম বুদ্ধত্ব অর্জনে প্রজ্ঞা ও জ্ঞানের প্রয়োজনীয়তার কথা দৃঢ়ভাবে ঘোষণা করে, তখন শব্দটি ব্যক্তির নিজস্ব সহজাত জ্ঞানের প্রকৃত উপলব্ধির কথাই ইঙ্গিত করে। অর্থাৎ বলা যায় যে, কালচক্র পরম্পরায় আদিবুদ্ধ ধারণাটির দ্বারা যুগপৎ নির্দেশ করা হয় ব্যক্তিমনের পরম প্রকৃতি এবং যে ব্যক্তি মনের শুদ্ধিকরণের মাধ্যমে সেই সহজাত জ্ঞানকে উপলব্ধি করেছেন তাঁকে।
0.5
23.109423
20231101.bn_879631_6
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%86%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A7%81%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A7
আদিবুদ্ধ
কুনজেদ গ্যালপোর অনুবাদক জিম ভ্যালবির মতে, জোগচেন পরম্পরায় সমন্তভদ্র ("সর্ব-মঙ্গল") ঈশ্বর নন, বরং "কারণ ও কার্যের অতীত আমাদের চিরন্তন শুদ্ধ পারম্যের উপস্থিতি" ("our timeless Pure Perfect Presence beyond cause and effect.")।
0.5
23.109423
20231101.bn_879631_7
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%86%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A7%81%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A7
আদিবুদ্ধ
"[তিনি] গুরু, যাকে সকল বুদ্ধগণ নত হয়ে প্রণাম করেন, [তিনি] তিন বজ্রের মধ্যে শ্রেষ্ঠ, মহৎ শ্রেষ্ঠের মধ্যে শ্রেষ্ঠ, তিন বজ্রের পরম প্রভু।"
0.5
23.109423
20231101.bn_879631_8
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%86%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A7%81%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A7
আদিবুদ্ধ
অ্যালেক্স ওয়েম্যান দেখিয়েছেন, প্রদীপোদ্দ্যোতনা নামে একটি তান্ত্রিক ভাষ্যে "তিনটি বজ্র" বলতে দেহ, বাক্য ও মনের তিনটি রহস্য বলে ব্যাখ্যা করা হয়েছে, যেগুলি আদিবুদ্ধের পরিচায়ক। ওয়েম্যান আরও লিখেছেন:
0.5
23.109423
20231101.bn_1388873_12
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A6
কামালবাদ
শেখ, উপজাতীয় নেতাদের রাজনৈতিক আধিপত্য এবং অটোমান সাম্রাজ্যের ইসলামী রাজনৈতিক ব্যবস্থার বিরুদ্ধে জনপ্রিয়তা ব্যবহার করা হয়েছিল। প্রাথমিকভাবে, প্রজাতন্ত্রের ঘোষণাকে " প্রথম খলিফাদের দিনগুলিতে ফিরে আসা" হিসাবে ধরা হয়েছিল। যাইহোক, আতাতুর্কের জাতীয়তাবাদের লক্ষ্য ছিল স্বৈরাচার ( অটোমান রাজবংশের দ্বারা), ধর্মতন্ত্র ( অটোমান খিলাফতে ভিত্তিক), এবং সামন্তবাদ (উপজাতীয় নেতা) থেকে তার নাগরিক, তুর্কিদের সক্রিয় অংশগ্রহণে রাজনৈতিক বৈধতা স্থানান্তর করা। কামালবাদী সামাজিক তত্ত্ব তুর্কি নাগরিকত্বের মূল্য প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিল। এই নাগরিকত্বের সাথে যুক্ত গর্ববোধ মানুষকে আরও কঠোর পরিশ্রম করতে এবং ঐক্য ও জাতীয় পরিচয়ের বোধ অর্জনের জন্য প্রয়োজনীয় মানসিক উত্সাহ দেবে। সক্রিয় অংশগ্রহণ, বা "জনগণের ইচ্ছা" প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল প্রজাতন্ত্রী শাসন এবং তুর্কিত্বের সাথে প্রতিস্থাপন করা হয়েছিল অন্যান্য ধরণের অনুষঙ্গের প্রতিস্থাপন যা অটোমান সাম্রাজ্যে প্রচারিত হয়েছিল (যেমন বিভিন্ন বাজরের প্রতি আনুগত্য যা শেষ পর্যন্ত বিভক্ততার দিকে পরিচালিত করেছিল। সাম্রাজ্য). অধিভুক্তির পরিবর্তনের প্রতীক ছিল:তুর্কি: Ne mutlu Türküm diyene. (ইংরেজি: How happy is the one who calls themselves a Turk.)
0.5
23.093675
20231101.bn_1388873_13
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A6
কামালবাদ
— " নে মুতলু তুর্কুম দিয়ানে " নীতিবাক্যটি "সুলতান দীর্ঘজীবী হোক," "শেখ দীর্ঘজীবি হোক" বা "খলিফা দীর্ঘজীবী হোক" এই জাতীয় নীতিবাক্যগুলির বিরুদ্ধে প্রচার করা হয়েছিল।
0.5
23.093675
20231101.bn_1388873_14
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A6
কামালবাদ
লাইসিজম (   ) কেমালিস্ট মতাদর্শের লক্ষ্য সরকারি বিষয়ে ধর্মীয় হস্তক্ষেপ বন্ধ করা এবং এর বিপরীতে। এটি ধর্মনিরপেক্ষতার প্যাসিভ অ্যাংলো-আমেরিকান ধারণা থেকে পৃথক, তবে ফ্রান্সের ল্যাসিটি ধারণার অনুরূপ।
0.5
23.093675
20231101.bn_1388873_15
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A6
কামালবাদ
কামালবাদী ধর্মনিরপেক্ষতার শিকড় উসমানীয় সাম্রাজ্যের শেষের দিকে, বিশেষ করে তানজিমত যুগ এবং পরবর্তী দ্বিতীয় সাংবিধানিক যুগের সংস্কার প্রচেষ্টার মধ্যে নিহিত। অটোমান সাম্রাজ্য ছিল একটি ইসলামী রাষ্ট্র যেখানে অটোমান রাষ্ট্রের প্রধান খলিফার পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। সামাজিক ব্যবস্থাটি ধর্মীয়ভাবে সংগঠিত মিলেট ব্যবস্থা এবং শরীয়াহ আইন সহ বিভিন্ন ব্যবস্থা অনুসারে সংগঠিত হয়েছিল, যা ধর্মীয় মতাদর্শকে অটোমান প্রশাসনিক, অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক ব্যবস্থায় অন্তর্ভুক্ত করার অনুমতি দেয়। দ্বিতীয় সাংবিধানিক যুগে, অটোমান পার্লামেন্ট মূলত ধর্মনিরপেক্ষ নীতি অনুসরণ করেছিল, যদিও নির্বাচনের সময় উসমানীয় রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ধর্মীয় জনতাবাদের কৌশল এবং অন্যান্য প্রার্থীদের ধর্মপরায়ণতার উপর আক্রমণ এখনও ঘটেছিল। এই নীতিগুলিকে ইসলামবাদী এবং নিরঙ্কুশ রাজতন্ত্রবাদীদের দ্বারা 1909 সালের পাল্টা অভ্যুত্থানের কারণ হিসাবে বলা হয়েছিল। অটোমান পার্লামেন্টের ধর্মনিরপেক্ষ নীতিগুলিও প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় আরব বিদ্রোহের কারণ ছিল।
0.5
23.093675
20231101.bn_1388873_16
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A6
কামালবাদ
নবজাতক তুর্কি রাষ্ট্রে যখন ধর্মনিরপেক্ষতা প্রয়োগ করা হয়েছিল, তখন এটি 1924 সালের মার্চ মাসে শতাব্দী প্রাচীন খিলাফত বিলুপ্তির মাধ্যমে শুরু হয়েছিল। শাইখ আল-ইসলামের অফিস ধর্ম বিষয়ক প্রেসিডেন্সি দিয়ে প্রতিস্থাপিত হয়েছিল (   ) 1926 সালে, একটি অভিযোজিত সুইস সিভিল কোড এবং জার্মান এবং ইতালীয় কোডের আদলে তৈরি একটি পেনাল কোডের পক্ষে মেজেল এবং শরিয়াহ আইন কোডগুলি পরিত্যাগ করা হয়েছিল। অন্যান্য ধর্মীয় প্রথাগুলি বাতিল করা হয়েছিল, যার ফলে সুফি আদেশগুলি ভেঙে দেওয়া হয়েছিল এবং একটি ফেজ পরিধানের শাস্তি দেওয়া হয়েছিল, যা আতাতুর্ক অটোমান অতীতের সাথে একটি বন্ধন হিসাবে দেখেছিলেন।
1
23.093675
20231101.bn_1388873_17
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A6
কামালবাদ
আতাতুর্ক ফ্রান্সে ল্যাসিটি- এর বিজয় দ্বারা গভীরভাবে প্রভাবিত হয়েছিলেন। আতাতুর্ক ফরাসি মডেলটিকে ধর্মনিরপেক্ষতার প্রামাণিক রূপ হিসাবে উপলব্ধি করেছিলেন। কামালবাদ ধর্মকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করেছিল এবং এটিকে একটি ব্যক্তিগত বিষয়ে রূপান্তরিত করার পরিবর্তে রাজনীতিতে, সেইসাথে বৈজ্ঞানিক ও সামাজিক অগ্রগতিতে হস্তক্ষেপ করে। "বুদ্ধিমান কারণ," এবং "[এর] সহকর্মীর স্বাধীনতা," যেমনটি আতাতুর্ক একবার বলেছিলেন। এটা নিছক রাষ্ট্র ও ধর্মের মধ্যে বিচ্ছিন্নতা সৃষ্টির চেয়েও বেশি কিছু। আতাতুর্ককে এমনভাবে কাজ করা হয়েছে যেন তিনি লিও দ্য ইসাউরিয়ান, মার্টিন লুথার, ব্যারন ডি'হলবাখ, লুডভিগ বুচনার, এমাইল কম্বস এবং জুলস ফেরি কেমালিস্ট ধর্মনিরপেক্ষতা তৈরিতে এক হয়েছিলেন। কামালবাদী ধর্মনিরপেক্ষতা অজ্ঞেয়বাদ বা নিহিলিজমকে বোঝায় না বা সমর্থন করে না; এর অর্থ চিন্তার স্বাধীনতা এবং ধর্মীয় চিন্তাধারা এবং ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের আধিপত্য থেকে রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানের স্বাধীনতা। লাইসিজমের কামালবাদী নীতি মধ্যপন্থী ও অরাজনৈতিক ধর্মের বিরুদ্ধে নয়, বরং আধুনিকীকরণ ও গণতন্ত্রের বিরোধিতাকারী এবং লড়াই করা ধর্মীয় শক্তির বিরুদ্ধে।
0.5
23.093675
20231101.bn_1388873_18
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A6
কামালবাদ
কামালবাদী ধারণা অনুসারে, তুর্কি রাষ্ট্রকে প্রতিটি ধর্ম থেকে সমান দূরত্বে দাঁড়াতে হবে, কোনো ধর্মীয় বিশ্বাসের প্রচার বা নিন্দা না করে। কামালবাদীরা, তবে, শুধুমাত্র গির্জা এবং রাষ্ট্রকে আলাদা করার জন্য নয় বরং তুর্কি মুসলিম ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রণের আহ্বান জানিয়েছে।  কিছু কামালবাদীদের জন্য , এর অর্থ হল রাষ্ট্রকে অবশ্যই ধর্মীয় বিষয়গুলির নেতৃত্বে থাকতে হবে এবং সমস্ত ধর্মীয় কার্যকলাপ রাষ্ট্রের তত্ত্বাবধানে রয়েছে। এটি, ঘুরে, ধর্মীয় রক্ষণশীলদের কাছ থেকে সমালোচনার জন্ম দেয়। ধর্মীয় রক্ষণশীলরা এই ধারণাকে প্রত্যাখ্যান করার জন্য সোচ্চার ছিল, এই বলে যে একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র থাকতে হলে রাষ্ট্র ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। তাদের প্রতিবাদ সত্ত্বেও, এই নীতি আনুষ্ঠানিকভাবে 1961 সালের সংবিধান দ্বারা গৃহীত হয়েছিল।
0.5
23.093675
20231101.bn_1388873_19
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A6
কামালবাদ
কামালবাদী নীতির উদ্দেশ্য ছিল সমাজের মধ্যে ধর্মীয় উপাদানকে স্তব্ধ করা। পশ্চিমা শক্তির কাছ থেকে তুরস্কের স্বাধীনতার পর, ধর্মনিরপেক্ষ এবং ধর্মীয় উভয় বিদ্যালয়েই সমস্ত শিক্ষা রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণে ছিল। এটি ধর্মীয় এবং ধর্মনিরপেক্ষ উভয় পাবলিক স্কুলে একটি পাঠ্যক্রম সহ শিক্ষা ব্যবস্থাকে কেন্দ্রীভূত করেছে, এই আশায় যে এটি ধর্মীয় বিদ্যালয়ের আবেদনকে দূর করবে বা কমিয়ে দেবে। আইনের উদ্দেশ্য ছিল সুফি ধর্মীয় বিদ্যালয় বা আদেশ ( তরিকত ) এবং তাদের বাসস্থান ( টেককে ) বাতিল করা। শেখ ও দরবেশের মতো উপাধি বিলুপ্ত করা হয় এবং সরকার কর্তৃক তাদের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়। সরকার শুক্রবার থেকে রবিবার বিশ্রামের দিন পরিবর্তন করে। কিন্তু ব্যক্তিগত পছন্দের বিধিনিষেধ ধর্মীয় কর্তব্য এবং নামকরণ উভয় ক্ষেত্রেই প্রসারিত। তুর্কিদের একটি উপাধি গ্রহণ করতে হয়েছিল এবং তাদের হজ ( মক্কার তীর্থযাত্রা) করার অনুমতি ছিল না।
0.5
23.093675
20231101.bn_1388873_20
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A6
কামালবাদ
রাষ্ট্র ও ধর্মের বিচ্ছিন্নতার কামালবাদী রূপটি সম্পূর্ণ প্রতিষ্ঠান, স্বার্থ গোষ্ঠীর (যেমন রাজনৈতিক দল, ইউনিয়ন এবং লবি), সেইসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সম্পর্ক এবং তাদের কার্য পরিচালনাকারী রাজনৈতিক নিয়ম ও নিয়মগুলির সংস্কার চেয়েছিল ( সংবিধান, নির্বাচনী আইন)। এই দৃষ্টিভঙ্গির সবচেয়ে বড় পরিবর্তনটি ছিল 3 মার্চ, 1924-এ অটোমান খিলাফতের বিলুপ্তি এবং এর পরে এর রাজনৈতিক প্রক্রিয়াগুলিকে অপসারণ করা। নিবন্ধটি উল্লেখ করে যে "তুরস্কের প্রতিষ্ঠিত ধর্ম ইসলাম" 10 এপ্রিল, 1928 সালে সংবিধান থেকে মুছে ফেলা হয়েছিল
0.5
23.093675
20231101.bn_1133935_2
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%95%E0%A7%80
বিনায়কী
বিনায়কীকে মাঝে মাঝে চৌষট্টি যোগিনী বা মাতৃকা দেবীর অংশ হিসেবেও দেখা যায়। যাইহোক, পণ্ডিত কৃষাণ বিশ্বাস করেন যে হাতির মাথাওয়ালা মাতৃকাদের মধ্যে বিনায়কী, গণেশের ব্রাহ্মণ্য শক্তি এবং তান্ত্রিক যোগিনী তিনটি স্বতন্ত্র দেবী।
0.5
23.044885
20231101.bn_1133935_3
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%95%E0%A7%80
বিনায়কী
জৈন এবং বৌদ্ধ ঐতিহ্যে, বিনায়কী একজন স্বাধীন দেবী। বৌদ্ধ কাজগুলিতে, তাকে গণপতিহৃদয় ("গণেশের হৃদয়") বলা হয়।
0.5
23.044885
20231101.bn_1133935_4
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%95%E0%A7%80
বিনায়কী
প্রাচীনতম পরিচিত হাতির মাথাওয়ালা দেবীর মূর্তিটি রাজস্থানের রায়রহে পাওয়া যায়। এটি একটি বিকৃত পোড়ামাটির ফলক যেটি খ্রিস্টপূর্ব প্রথম শতাব্দী থেকে খ্রিস্টীয় প্রথম শতাব্দীর হতে পারে। দেবী হাতিমুখী, শুঁড়টি ডানদিকে বাঁকানো এবং দুটি হাত রয়েছে। তার হাতের প্রতীক এবং অন্যান্য বৈশিষ্ট্যগুলি ক্ষয়প্রাপ্ত হওয়ায় দেবীর স্পষ্ট পরিচয় পাওয়া সম্ভব নয়।
0.5
23.044885
20231101.bn_1133935_5
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%95%E0%A7%80
বিনায়কী
দশম শতাব্দীর পর থেকে দেবীর অন্যান্য হাতির মাথাওয়ালা ভাস্কর্য পাওয়া গেছে। বিনায়কীর সবচেয়ে বিখ্যাত ভাস্কর্যগুলির মধ্যে একটি হল মধ্যপ্রদেশের ভেদাঘাটের চৌষট যোগিনী মন্দিরে একচল্লিশতম যোগিনী হিসাবে। দেবীকে এখানে শ্রী-ঐঙ্গিনী বলা হয়। এখানে, দেবীর বাঁকানো বাম পা টি একটি হাতি-মাথাওয়ালা পুরুষের সহায়তা প্রাপ্ত, সম্ভবত এটি গণেশ তাঁর পায়ের কাছে উপবিষ্ট।
0.5
23.044885
20231101.bn_1133935_6
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%95%E0%A7%80
বিনায়কী
শিরালীর চিত্রপুর মঠে বিনায়কীর একটি বিরল ধাতব ভাস্কর্য পাওয়া গেছে। তিনি পূর্ণ স্তনবিশিষ্ট, কিন্তু গণেশ মূর্তির মতো স্থুলকায়া নন। তিনি নিজের বুকে যজ্ঞোপবীত ("পবিত্র সুতো") এবং গলায় দুটি অলঙ্কার পরেন। তার সামনের দুটি হাত অভয় ("ভয়-নয়") এবং বরদা (বরদানকারী) মুদ্রায় (ভঙ্গিমা) ধরা আছে। তার পেছন দিকের দুটি হাতের একটিতে তলোয়ার এবং অন্যটিতে ফাঁস রয়েছে। তার শুঁড় বাম দিকে বাঁকানো। ছবিটি সম্ভবত ১০ শতকের উত্তর-পশ্চিম ভারত (গুজরাত /রাজস্থান) থেকে পাওয়া এবং তান্ত্রিক গাণপত্য সম্প্রদায়ের (যারা গণেশকে সর্বোচ্চ ঈশ্বর বলে মনে করেন) অথবা সেটি বামাচার (বাম হাতের) দেবী-উপাসনাকারী শাক্ত সম্প্রদায়ের।
1
23.044885
20231101.bn_1133935_7
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%95%E0%A7%80
বিনায়কী
বিহারের গিরেক থেকে পাওয়া পাল সাম্রাজ্যের একটি বিনায়কী বৃহৎ উদরযুক্ত নন। চতুর্ভুজা দেবী একটি গদা, ঘট (পাত্র), পরশু (কুড়াল) এবং সম্ভবত একটি মূলা বহন করেন। প্রতিহার সাম্রাজ্যের একটি ছবিতে বৃহৎ উদরযুক্ত এক বিনায়কীকে দেখানো হয়েছে, যার চারটি হাতে রয়েছে গদা-পরশুর সংমিশ্রণ, একটি পদ্ম, একটি অজ্ঞাত বস্তু এবং মোদক মিষ্টির একটি থালা। শুঁড় দিয়ে সেটি আঁকড়ে ধরা আছে। উভয় ছবিতে, শুঁড়টি ডানদিকে ঘুরানো রয়েছে। রানীপুর ঝরিয়াল (উড়িষ্যা), গুজরাত এবং রাজস্থানেও ক্ষতিগ্রস্ত চার-হাত বা দুই-হাত বিনায়কীর ছবি পাওয়া যায়।
0.5
23.044885
20231101.bn_1133935_8
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%95%E0%A7%80
বিনায়কী
সাতনা থেকে অন্য একটি ছবি অনুযায়ী, পাঁচজন থেরিওসেফালিক (মানব-প্রাণী বর্ণসঙ্কর) দেবীর মধ্যে বিনায়কী একজন। ছবির কেন্দ্রে আছে গরু-মাথাযুক্ত যোগিনী বৃষভা, শিশু গণেশকে তার বাহুতে ধারণ করে। বিনায়কীর মূর্তিটি গৌণ মূর্তি, বৃহৎ উদরযুক্ত এবং গণেশের মতো একটি অঙ্কুশ (হাতি প্রশিক্ষণের অস্ত্র) ধারণ করে আছে। এই রূপরেখায়, বৃষভকে গণেশ এবং অন্যান্য দেবীর মা হিসাবে বিবেচনা করা যেতে পারে, এইভাবে বিনায়কী এবং গণেশের মধ্যে একটি ভাইবোন সম্পর্কের ইঙ্গিত পাওয়া যায়। আরেকটি ব্যাখ্যা থেকে জানা যায় যে বিনায়কী সহ সমস্ত মহিলা দেবতাই ঐ শিশু দেবতাটির মা।
0.5
23.044885
20231101.bn_1133935_9
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%95%E0%A7%80
বিনায়কী
চেরিয়ানাদে শ্রীবালাসুব্রামনিয়া স্বামীর মন্দিরে, বিনায়কীর একটি কাঠের মূর্তি রয়েছে যা মন্দিরের "বালিকাল পুর" এ অবস্থিত। একে চেরিয়ানাদ গ্রামের দেশদেব (স্থানীয় দেবতা) হিসাবে বিবেচনা করা হয়।
0.5
23.044885
20231101.bn_1133935_10
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%95%E0%A7%80
বিনায়কী
পুরাণে পাওয়া হস্তী-মাথাওয়ালা নারীরা রাক্ষস বা অভিশপ্ত দেবী। গণেশের জন্মের একটি গল্পে, গণেশের মা পার্বতীর স্নান-জল পান করার পর হাতি-মাথার রাক্ষস মালিনী গণেশের জন্ম দেন। স্কন্দ পুরাণে, সম্পদের দেবী লক্ষ্মীকে হাতির মাথা পাওয়ার অভিশাপ দেওয়া হয়েছে, তপস্যা করে দেবতা ব্রহ্মাকে খুশি করার মাধ্যমে যা থেকে তিনি পরিত্রাণ পান। এগুলিকে বিনায়কী বলা হয় না এবং আলগাভাবে গণেশের সাথে মা (মালিনী) হিসেবে বা স্ত্রী (কিছু মূর্তিতে লক্ষ্মী) হিসাবে সংযুক্ত। হরিবংশ, বায়ু পুরাণ এবং স্কন্দ পুরাণে হস্তিমুখী মাতৃকা ("মাতা"), গ্রহ (উপদ্রবকারী) এবং গণ এর বর্ণনা আছে, যাদের নাম গজানন ("হাতিমুখী"), গজমুখী ("হাতিমুখী"), গজস্য ("হস্তিতুল্য"), ইত্যাদি। যাইহোক, কৃষাণ এই মাতৃকাদের দুর্ভাগ্যের দেবী জ্যৈষ্ঠের সাথে সম্পর্কযুক্ত করেছেন, যার মুখ হাতির মুখের মতো।
0.5
23.044885