author
stringlengths
2
242
category
stringclasses
9 values
category_bn
stringclasses
16 values
published_date
stringlengths
2
68
modification_date
stringlengths
2
68
tag
stringlengths
0
137
comment_count
float64
0
0
title
stringlengths
1
215
url
stringlengths
47
56
content
stringlengths
0
57.9k
__index_level_0__
int64
0
408k
খেলা ডেস্ক
sports
খেলা
১১ অক্টোবর ২০১৭, ১৯:৪৬
২৪ মে ২০১৮, ১০:০৬
ফুটবল,মেসি,আর্জেন্টিনা
null
‘আমি’ নয়, মেসি বললেন ‘আমরা’
http://www.prothom-alo.com/sports/article/1341861
জাদুকরি জিয়নকাঠি ছিল যাঁর হাতে, সেই লিওনেল মেসির কাঁধে ভর করে আর্জেন্টিনা উঠেছে বিশ্বকাপে। হ্যাঁ, তিনি জাদুকরই বটে! কিটোর যে মাঠে আর্জেন্টিনা জেতেনি গত ১৬ বছরে, সে মাঠেই মেসি তাঁর দেশকে বিশ্বকাপের ছাড়পত্র পাইয়ে দিলেন হ্যাটট্রিক করে। সব আলো তাঁর দিকে। সারা বিশ্বের সংবাদমাধ্যমে মেসি আজ আলোড়ন। সামাজিক মাধ্যমের ট্রেন্ড। দেশকে একাই বিশ্বকাপে তোলা চাট্টিখানি কথা নয়।অথচ ম্যাচ শেষে মেসি একবারও নিজের কথা বললেন না। বুঝিয়ে দিলেন বারবার, দলটা ‌১১ জনের। ভালোর ভাগ ১১ জনের। এর চেয়েও বড় কথা, ভালো খেলতে হলে ১১ জনকেই খেলতে হবে। জয়ের সৌরভ সতীর্থদের মধ্যে ভাগ করে দিয়ে মেসি বুঝিয়ে দিলেন, ‘আমি’ নয়, জিতেছে আসলে ‘আমরা’। নিজের কথা সেভাবে বলেন না কখনোই। এমনকি এমন এক ম্যাচের পরও সেভাবে নিজের প্রসঙ্গ আনতে দিলেন না ম্যাচ শেষের প্রতিক্রিয়ায়।সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৯ হাজার ফুট উঁচুতে অবস্থিত কিটোয় ম্যাচ শেষে মেসির উক্তি, ‘এখানে খেলা নিয়ে সবাই একটু চিন্তিত ছিল। সৌভাগ্যজনকভাবে আমরা ভালো খেলেছি, লক্ষ্যটা পূরণ হয়েছে। সে জন্য ঈশ্বরকে ধন্যবাদ, আমরা লক্ষ্য পূরণ করেছি।’বিশ্বকাপে যেতে মুখিয়ে ছিলেন। বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা থাকবে না, এটা মেসির কাছেও অভাবিত, ‘বিশ্বকাপে না থাকাটা হতো ভয়ংকর কিছু একটা। এই দলটা বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা রাখে। আমরা কিছুদিনের জন্য সংবাদমাধ্যম, কিংবা কথাটথা বলা এড়িয়ে চলেছি। এতে উপকারই হয়েছে। আমরা (দল) যদি হাতে হাত রেখে পথ চলি, তাহলে সবকিছু সহজ হয়ে উঠবে।’গত তিন বছরে মেসি নিজে তিনটি বড় টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠেছেন। কিন্তু শিরোপাটাই জেতা হয়নি। ট্রফি জিততে ‘চ্যাম্পিয়নস লাক’ লাগে, সেটি তাঁর মতো ভালো কে বোঝে। কিন্তু টানা তিনটি টুর্নামেন্টের ফাইনালে ওঠা, কদিন আগেও র‍্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষস্থান ধরে রাখা দলটিকে কেউ কেউ পাড়ার দলের খোঁচা দিচ্ছিল। এটাও যে ভালো লাগেনি, মেসি সেটি বুঝিয়ে দিলেন, ‘গত বিশ্বকাপ এবং দুটি কোপা আমেরিকায় যা ঘটেছে, তা ঠিক হয়নি। আমরা এবার বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পেতেও ভুগেছি। আশা করছি এবার তা (বিশ্বকাপ) জিততে পারব। আজকের দিনটা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।’মেসি নিজে জানেন, এই ফুটবল দিয়ে লক্ষ্য পূরণ হবে না। তবে আপাতত প্রথম ধাপটা পার করাতে চেয়েছিলেন। এখন দল গুছিয়ে নেওয়ার যথেষ্ট সময় তো মিলবে। সেটাই বললেন, ‘আজকের (এ ম্যাচের পর) পর থেকে জাতীয় দলটা হবে অন্য রকম, এটা আরও বেড়ে উঠবে। জাতীয় দলের সঙ্গে থাকলে সব সময় নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছি, সেটা নিজের জন্য এবং দেশের জন্য।’
340,899
দীদার চৌধুরী
education
শিক্ষা
০৫ এপ্রিল ২০১৭, ০০:০৫
০৫ এপ্রিল ২০১৭, ০০:০৫
পড়াশোনা
0
বাংলা
http://www.prothom-alo.com/education/article/1120723
স্মরণীয় যাঁরা চিরদিনপ্রিয় শিক্ষার্থী, আজ রয়েছে বাংলা বিষয়ের ‘স্মরণীয় যাঁরা চিরদিন’ প্রবন্ধের ওপর আলোচনা।প্রশ্ন: কোন শহিদ বুদ্ধিজীবী প্রথম পাকিস্তান গণপরিষদে বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবি জানান?উত্তর: পাকিস্তান গণপরিষদে বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করার প্রথম দাবি জানান শহিদ বুদ্ধিজীবী ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত। বাংলাদেশ ১৯৪৮ সাল থেকে পাকিস্তানের সঙ্গে একত্র ছিল। আর তখন একটাই গণপরিষদ কার্যকর হতো। সেটি হলো পাকিস্তান গণপরিষদ।যেহেতু বাংলাদেশের সব মানুষের ভাষা ছিল বাংলা, তাই ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ১৯৪৮ সালে পাকিস্তান গণপরিষদে দাবি জানান যে বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা দেওয়া হোক। মূলত বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করার এটাই প্রথম দাবি ছিল।প্রশ্ন: কোন দিনটিকে ‘শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস’ হিসেবে পালন করা হয়? কেন?উত্তর: ১৯৭১ সালে দীর্ঘ নয় মাসের মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ বাঙালি শহিদ হন। এর মধ্যে শক্তিমান, যশস্বী ও প্রতিভাবানদের ধরে নিয়ে ১৪ ডিসেম্বর হত্যা করা হয়। তাই প্রতিবছর ১৪ ডিসেম্বর ‘শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস’ হিসেবে পালন করা হয়।প্রশ্ন: আমরা কেন চিরদিন শহিদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণ করব?উত্তর: মাতৃভূমির বিপদে যাঁরা এগিয়ে আসেন তাঁরা আমাদের কাছে চিরস্মরণীয়। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল। এই যুদ্ধ ও স্বাধীনতা লাভের পেছনে অনেক মহান মানুষের অসীম অবদান রয়েছে। চিন্তা, বুদ্ধি, মেধা, সময় ও অর্থ দিয়ে তাঁরা সব সময় মানুষের কল্যাণ চিন্তা করেছেন। স্বাধীনতার জন্য তাঁরা নিজেদের জীবন পর্যন্ত বিলিয়ে দিয়েছেন। আমরা তাঁদের চিরদিন স্মরণ করব।১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে আমরা অনেক মানুষকে হারিয়েছি, তাঁরা দেশ ও মাতৃভাষার জন্য ত্যাগের মহান আদর্শ স্থাপন করে গেছেন। আমরা সেই আদর্শকে অনুসরণ করব। নিজেদের আদর্শ মানুষরূপে গড়ে তোলার জন্য সেই সব মানুষকে আমরা আদর্শরূপে গ্রহণ করব। এ জন্যই তাঁদের আমরা স্মরণ করব।প্রশ্ন: আমরা কীভাবে শহিদদের ঋণ শোধ করতে পারি?উত্তর: ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে শহিদ হয়েছিলেন ৩০ লাখ নিরীহ বাঙালি। ১৯৭১ সালে এ দেশের মানুষ স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করেছিলেন। আজ আমরা যে স্বাধীনতা পেয়েছি, তা ওই সব শহিদের অবদান। তাঁদের কাছে আমরা ঋণী। এই ঋণ শোধ করতে হলে আমাদের নিজেদের স্বার্থচিন্তার পরিবর্তন করতে হবে। দেশের কল্যাণের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করতে হবে। নিজেদের পরিবর্তনের মাধ্যমে আমরা যদি দেশের সার্বিক কল্যাণ সাধন করতে পারি, তবেই শহিদদের ঋণ শোধ করা সম্ভব।প্রশ্ন: রণদাপ্রসাদ সাহাকে কেন দানবীর বলা হয়?উত্তর: এ দেশের সাধারণ মানুষের মঙ্গল ও কল্যাণের জন্য নিজেকে সঁপে দিয়েছিলেন রণদাপ্রসাদ সাহা। দানশীলতার জন্য তাঁকে দানবীর বলা হয়।প্রশ্ন: কোন সময়কে মুক্তিযুদ্ধের কাল বলা হয়?উত্তর: ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত—এই নয় মাসকে বলা হয় মুক্তিযুদ্ধের সময়কাল। এই নয় মাস যুদ্ধ করার পর আমরা জয়ী হই, অর্জন করি আমাদের স্বাধীনতা।প্রশ্ন: জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতা কে ছিলেন? তিনি কীভাবে শহিদ হন?উত্তর: জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতা ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের একজন শহিদ বুদ্ধিজীবী। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি বাহিনী এ দেশের নিরীহ মানুষের ওপর বর্বর আক্রমণ চালায়। তারা এ দেশকে প্রতিভাশূন্য করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বাড়িতেও হামলা চালায়। জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতাকে তারা টেনেহিঁচড়ে বাড়ি থেকে বের করে আনে। তারপর গুলি করে হত্যা করে। এভাবেই তিনি শহিদ হন।প্রশ্ন: কোন তারিখে পাকিস্তানি সেনারা এ দেশের মানুষের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে?উত্তর: পাকিস্তানি সেনারা ছিল নিষ্ঠুর, নির্মম। তারা ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে এ দেশের মানুষের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে।প্রশ্ন: দুজন শহিদ সাংবাদিকের নাম লেখো।উত্তর: দুজন শহিদ সাংবাদিক হলেন শহীদ সাবের ও সেলিনা পারভিন। বাকি অংশ ছাপা হবে আগামীকালসিনিয়র শিক্ষকআন-নাফ গ্রিন মডেল স্কুল, ঢাকা
309,582
ময়মনসিংহ অফিস
bangladesh
বাংলাদেশ
২৬ মার্চ ২০১৪, ০৩:০০
২৬ মার্চ ২০১৪, ০৩:০১
ময়মনসিংহ,মুক্তাগাছা,ঢাকা বিভাগ,বিশাল বাংলা
0
বিএনপি-সমর্থিত প্রার্থীদের টাকায় বিদ্যালয় মেরামত
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/177502
ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত বিদ্যালয় বিএনপির-সমর্থিত চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীদের টাকায় মেরামত করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে ওই প্রার্থীদের টাকায় ক্ষতিগ্রস্ত কমলাপুর শহীদ মুক্তিযোদ্ধা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মেরামতের সময় ওই বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটি তাতে বাধা দেয়। এ ঘটনায় গত রোববার বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছে।১৫ মার্চ অনুষ্ঠিত ওই নির্বাচনে সহিংসতায় মুক্তাগাছা ও গৌরীপুর উপজেলায় তিনটি করে মোট ছয়টি কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ স্থগিত হয়। আগামীকাল বৃহস্পতিবার স্থগিত ওই ছয়টি কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ হবে বলে জানিয়েছেন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা।বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটি ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৫ মার্চ অনুষ্ঠিত নির্বাচনে কমলাপুর শহীদ মুক্তিযোদ্ধা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনের টিন খুলে নেয় দুর্বৃত্তরা। এরপর বিদ্যালয়টি আর মেরামত করা হয়নি। ২৩ মার্চ বিএনপি-সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী জাকারিয়া হারুন ও ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী গোলাম শাহরিয়ার নিজেদের টাকায় টিন কিনে বিদ্যালয়ের মেরামতকাজ শুরু করেন। তবে বিদ্যালয় ভবন মেরামতের আগে তাঁরা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও পরিচালনা কমিটির সঙ্গে কোনো কথা বলেননি। মেরামতকাজ বেশির ভাগ হয়ে গেলে পরিচালনা কমিটির সভাপতি শাহজাহান সরকার মেরামতকাজে বাধা দেন। তিনি বিষয়টি স্থানীয় নির্বাচন কর্মকর্তাকে জানান। পরে ওই বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির পক্ষ থেকে থানায় জিডি করা হয়।বিএনপি-সমর্থিত ওই দুই প্রার্থীর টাকায় বিদ্যালয়ে টিন লাগিয়ে দেওয়ার বিষয়টি নির্বাচনী আচরণবিধির লঙ্ঘন—এমন অভিযোগ এনে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেন আওয়ামী লীগ-সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. বিল্লাহ হোসেন সরকার ও ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. তারেক।এ ব্যাপারে শাহজাহান সরকার বলেন, ‘তাঁরা (বিএনপির-সমর্থিত দুই প্রার্থী) কর্তৃপক্ষের অনুমতি না নিয়ে বিদ্যালয়ে টিনের বেড়া লাগিয়ে দেওয়ার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তা বন্ধ করি।’ তবে এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক কামরুল ইসলামের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা নাহিদ আহসান বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।’উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ফয়জুন্নেছা বেগম জানান, অভিযোগ পেয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে পাঠানো হয়েছে। তিনি বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন দেবেন।তবে জাকারিয়া হারুন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমাদের পক্ষ থেকে স্কুল মেরামত করা হয়নি। এটা আওয়ামী লীগ-সমর্থিত প্রার্থীদের নির্বাচন বানচালের চক্রান্ত।’
61,078
বিনোদন ডেস্ক
entertainment
বিনোদন
২৫ জানুয়ারি ২০১৬, ০০:৩৭
২৫ জানুয়ারি ২০১৬, ০০:৩৭
বিনোদন,হলিউড
0
অখ্যাত যদি থাকা যেত!
http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/749290
একটু যেন আফসোসই হচ্ছে তাঁর। খ্যাতির উপজাত হিসেবে নিয়ে আসে বিড়ম্বনাও। তবে ব্রি লারসন ঠিক বিড়ম্বনা বলছেন না, বলছেন ‘উদ্ভট’।দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে এলেও এত দিন মূলস্রোত থেকে অনেকটাই বিচ্ছিন্ন ছিলেন। এ কারণে সে রকম পরিচিতি ছিল না লারসনের। এক রুম তাঁকে বিশ্বজোড়া খ্যাতি এনে দিয়েছে। একের পর এক পুরস্কার জিতছেন। নামীদামি পত্রিকার দুঁদে সাংবাদিকেরা বাড়িয়ে ধরছে রেকর্ডার।লারসন স্বীকার করলেন, ‘গত বছরের প্রতিটি পদক্ষেপ আমার জন্য ছিল নতুন। যেটা আমার জন্য ছিল ডাঙায় মাছের ছটফটানির মতো। নিজেকে বারবার জিজ্ঞেস করেছি, আমার জীবন কতটা বদলাবে? উত্তর মেলেনি।’কিন্তু যে জীবন ফড়িংয়ের, দোয়েলের; সেটাই তো চেয়েছিলেন। তাই একটু যেন দীর্ঘশ্বাস, ‘এই জগতে, যেখানে সবকিছু চোখের পলকে বদলে যায়, সেখানে আবিষ্কার করেছি, কোনো প্রত্যাশা না থাকাই সবচেয়ে সুখে থাকা।’রুম-এ তিনি অল্প বয়সী এক মায়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন, যে মা তাঁর ছোট্ট ছেলেকে নিয়ে একটি কক্ষে বন্দী জীবন যাপন করেন। লারসনের মনে হচ্ছে, এখন সেই চরিত্রটির সঙ্গে মিল খুঁজে পাচ্ছেন, ‘সব সময়ই চেয়েছি নিজের ছোট্ট বুদ্বুদের ভেতর আটকে থাকা জগতের মধ্যেই থাকতে। চেয়েছি অচেনা কেউ হয়ে থাকতে, যাকে চোখেই পড়ে না।’ ইনডিপেনডেন্ট
195,510
রানা আব্বাস, চট্টগ্রাম থেকে
sports
খেলা
০৪ ডিসেম্বর ২০১৫, ০২:২৪
০৪ ডিসেম্বর ২০১৫, ০২:৩০
খেলা,দেশের ক্রিকেট
null
দিলশান-বাধা পেরিয়ে কুমিল্লার জয়
http://www.prothom-alo.com/sports/article/702385
দারুণ এক নাটক দেখা গেল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের দ্বিতীয় ওভারের চতুর্থ বলে। তাসকিন আহমদের বলটা কাভারের দিকে পাঠিয়ে ১ রানের ‘কল’ দিয়েছিলেন ইমরুল কায়েস। ‘না’ করে দিয়েছিলেন সঙ্গী আহমেদ শেহজাদ। তিলকরত্নে দিলশানের ওভার থ্রোর পরমুহূর্তেই শেহজাদ চলে আসেন স্ট্রাইক-প্রান্তে। ইমরুল দৌড় শুরু করতেই দুর্ঘটনা।উইকেটের ওপর চলে আসা দিলশানের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে পড়ে গেলেন ইমরুল। পরে টিভি রিপ্লেতে দেখা গেছে, ইমরুল দৌড় শুরু করতেই সামনে পা বাড়িয়ে দিয়েছিলেন দিলশান। ওদিকে শেহজাদও চলে আসায় দুই ব্যাটসম্যান তখন এক প্রান্তে। অন্য প্রান্তের স্টাম্প ভেঙে দিয়ে রানআউটের আবেদন চিটাগং ভাইকিংসের। তবে টিভি রিপ্লে দেখে আম্পায়ারদের মনে হয়েছে, ইমরুলকে ‘ইচ্ছা’ করেই বাধা দিয়েছিলেন দিলশান। রানআউট তো হয়ইনি, উল্টো চিটাগংকে করা হয়েছে ৫ রানের জরিমানা। বলটাও হয়েছে ‘ডেড’। চিটাগং ভাইকিংস অধিনায়ক তামিম ইকবাল সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছেন বিনা বাক্যব্যয়ে।ইমরুল-শেহজাদের দ্বিতীয় উইকেটে ৫২ রান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে কুমিল্লার ৫ উইকেটের জয়ে। ৩৫ রানে ইমরুল আউট হয়েছেন দিলশানের বলেই। বিলওয়াল ভাট্টির বলে ফেরার আগে শেহজাদ করেছেন ৩৭। ২৩ বলে ৩৪ রান করে কুমিল্লাকে জিতিয়ে মাঠ ছেড়েছেন শোয়েব মালিক, ম্যাচসেরার পুরস্কারটাও উঠেছে তাঁর হাতেই। দল হারলেও আরও একবার দারুণ বোলিংয়ে নিজেকে চেনালেন মোহাম্মদ আমির। চট্টগ্রামের পাকিস্তানি পেসার ২২ রানে পেয়েছেন ২ উইকেট।চিটাগংকে দারুণ সূচনা এনে দিয়েছিলেন দুই ওপেনার তামিম-দিলশান। সাতের ওপর রান রেট নিয়ে উদ্বোধনী জুটিতে এসেছে ৫১। এ গতিতে এগোতে পারলে বড় স্কোরই হতো চিটাগংয়ের। কিন্তু ২০ ওভার শেষে রানটা হৃষ্টপুষ্ট হলো না তামিমদের।২৩ বলে ২৭ করে তামিম ফেরার পর দিলশান ছিলেন আরও কিছুক্ষণ। রানের চাকা যখন বাড়িয়ে নেওয়ার কথা, দিলশান এগোলেন কিছুটা ধীরলয়ে। ৪২ বলে লঙ্কান ব্যাটসম্যানের রান ৩৯। শারজা থেকে উড়ে এসে নিজের প্রথম ম্যাচে ভালো না করলেও উমর আকমল জ্বলে উঠেছিলেন কাল। উমরের আফসোস, অপরাজিত থেকেও ফিফটি হয়নি ১ রানের জন্য।ঘরের মাঠে আরও একটি পরাজয়ের হতাশা নিয়ে বাড়ি ফিরতে হয়েছে চট্টগ্রামের দর্শকদের। অন্যদিকে শেষ চারের সম্ভাবনা আরও উজ্জ্বল করে চট্টগ্রামপর্ব শেষ করল কুমিল্লা।
180,241
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
bangladesh
বাংলাদেশ
০৩ জুলাই ২০১৫, ০১:০২
০৩ জুলাই ২০১৫, ০১:০৩
চট্টগ্রাম,চট্টগ্রাম বিভাগ,মহানগর
0
জাকির হোসেন সড়কের সংস্কার কাজ শুরু
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/568360
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নগরের জিইসি মোড় থেকে সাগরিকা এলাকার জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম পর্যন্ত প্রায় ১০ কিলোমিটার সড়ক সংস্কারে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত থেকে এ সংস্কার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এতে সিটি করপোরেশনের নিজস্ব জনবল ও সামগ্রী ব্যবহার করা হবে।বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দলের ওয়ানডে ও টেস্ট খেলা উপলক্ষে নগরের জাকির হোসেন সড়ক ও স্টেডিয়াম-সংলগ্ন সড়ক সংস্কার করা হচ্ছে। সম্প্রতি টানা বৃষ্টিতে চট্টগ্রাম নগরের প্রায় দেড় শ কিলোমিটার সড়কে খানাখন্দ ও ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যে ছয় কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের জাকির হোসেন সড়কের অবস্থা সবচেয়ে বেশি খারাপ। সড়কজুড়ে ছোট-বড় গর্ত রয়েছে। এতে যান চলাচল বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মোহাম্মদ শফিউল আলম প্রথম আলোকে বলেন, দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট দল চট্টগ্রামে আসার আগেই জাকির হোসেন সড়ক থেকে স্টেডিয়াম পর্যন্ত সড়ক জরুরি ভিত্তিতে সংস্কারের নির্দেশ দিয়েছেন মেয়র। এ সড়ক ব্যবহার করে খেলোয়াড় ও কর্মকর্তারা স্টেডিয়ামে যাতায়াত করবেন। প্রকৌশল বিভাগ গতকাল রাত থেকেই এ কাজ শুরু করেছে।
149,977
রাজবাড়ী প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
১৪ জানুয়ারি ২০১৪, ০১:৩৫
১৪ জানুয়ারি ২০১৪, ০১:৩৬
রাজবাড়ী,ঢাকা বিভাগ,অপরাধ
0
মাদ্রাসাপ্রধানকে মারধরের অভিযোগ
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/122913
রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে গতকাল সোমবার একটি মাদ্রাসার প্রধানকে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে অশোভন পেপার কাটিং প্রদর্শন করার অভিযোগে তাঁকে মারধর করা হয় বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বালিয়াকান্দি উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের শহীদনগর ইসলামিয়া মহিলা দাখিল মাদ্রাসার প্রধান আবদুর রশিদ সম্প্রতি ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে অশোভন পেপার কাটিং দেখান। বিষয়টি জানাজানি হলে গত রোববার ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) আবদুল হান্নান মাদ্রাসাপ্রধানের কাছ থেকে পেপার কাটিং উদ্ধার করেন। সোমবার (গতকাল) মুঠোফোনে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবদুল মতিন মাদ্রাসাপ্রধানকে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে বলেন। দুপুর ১২টার দিকে তিনি উপজেলা পরিষদের সামনে পৌঁছালে কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা তাঁকে মারধর করেন।আবদুর রশিদ বলেন, ‘আমার কাছে থাকা পেপার কাটিং আওয়ামী লীগের নেতা হান্নান নিয়ে গেছেন। আবদুল মতিন মুঠোফোনে আমাকে ডেকে মারধর করেছেন।’আবদুল মতিন জানান, বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে অশোভন পেপার কাটিং ও চিত্র প্রদর্শন করায় মাদ্রাসাপ্রধান রশিদকে কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন। তিনি শুনে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করেন।মাদ্রাসার ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি আবদুল হান্নান জানান, মাদ্রাসাপ্রধানের কাছ থেকে একটি পেপার কাটিং উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁকে মারধর করার বিষয়টি তিনি জানেন না। থানার ওসি আবু শামা ইকবাল হায়াত জানান, মাদ্রাসার প্রধানকে মারধরের বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না। এ বিষয়ে কেউ থানায় কোনো অভিযোগ করেননি।
43,558
নিজস্ব প্রতিবেদক, কুমিল্লা
bangladesh
বাংলাদেশ
০২ জুন ২০১৬, ০২:০০
০২ জুন ২০১৬, ০২:০১
কুমিল্লা,চট্টগ্রাম বিভাগ,আইন ও বিচার
0
উকিল নোটিশের জবাব দিয়েছেন তিন চিকিত্সক
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/875584
কুমিল্লার ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী ও নাট্যকর্মী সোহাগী জাহান তনুর লাশের প্রথম ময়নাতদন্তের পর কেন বিভ্রান্তিমূলক প্রতিবেদন দেওয়া হলো, তা জানতে চেয়ে বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির দেওয়া উকিল নোটিশের জবাব দিয়েছেন তিনজন চিকিত্সক। গতকাল বুধবার দুপুরে কুমিল্লার সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মোস্তাফিজুর রহমানের সহযোগিতা নিয়ে ওই নোটিশের জবাব দেন চিকিত্সকেরা।ওই তিন চিকিত্সক হলেন কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ মহসিন উজ জামান চৌধুরী, কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রধান ও সহযোগী অধ্যাপক কামদা প্রসাদ সাহা এবং তনুর লাশের প্রথম ময়নাতদন্তকারী একই বিভাগের প্রভাষক শারমিন সুলতানা। তাঁরা প্রত্যেকেই আলাদাভাবে জবাব দেন।জানতে চাইলে তনুর লাশের দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ডের প্রধান ও কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কামদা প্রসাদ সাহা প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।কলেজের অধ্যক্ষ মহসিন উজ জামান চৌধুরী বলেন, ‘ময়নাতদন্তের সঙ্গে আমার কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। আমার বক্তব্য সেইভাবেই উপস্থাপন করা হয়েছে। প্রত্যেকে আলাদাভাবে জবাব দিয়েছি।’ তনুর লাশের প্রথম ময়নাতদন্তকারী কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রভাষক শারমিন সুলতানা বলেন, ‘দুই পৃষ্ঠায় আমি আমার জবাব দিয়েছি।’
228,485
প্রথম আলো ডেস্ক
international
আন্তর্জাতিক
১০ সেপ্টেম্বর ২০১৪, ০২:১০
১০ সেপ্টেম্বর ২০১৪, ০২:১১
ইউরোপ
0
‘বস্তুর’ আঘাতেই বিধ্বস্ত হয় উড়োজাহাজটি
http://www.prothom-alo.com/international/article/315289
ইউক্রেনের সংঘাতপূর্ণ পূর্বাঞ্চলে বিধ্বস্ত হওয়া মালয়েশিয়ার উড়োজাহাজটিতে দুর্ঘটনার সময় কোনো যান্ত্রিক গোলযোগ হয়নি। ‘উচ্চগতিসম্পন্ন’ অগণিত বস্তু আঘাত হানার পরই উড়োজাহাজটি খণ্ডবিখণ্ড হয়ে যায়। গতকাল মঙ্গলবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ কথা বলেছে নেদারল্যান্ডস সরকার।গত ১৭ জুলাই উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হয়ে ২৯৮ আরোহী মারা যায়। ১৯৩ জনই নেদারল্যান্ডসের নাগরিক। খবর এএফপি, বিবিসি, এপির।উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনা তদন্তকারী একটি দল প্রাথমিক এ প্রতিবেদনটি প্রস্তুত করেছে। নেতৃত্ব দিয়েছেন নেদারল্যান্ডসের তদন্তকারীরা। প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, ‘ফ্লাইট এমএইচ১৭ সম্ভবত অবকাঠামোগত ক্ষতির কারণেই আকাশে খণ্ড খণ্ড হয়ে ভেঙে পড়ে। ওই ক্ষতির কারণ ছিল অনেকগুলো উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন বস্তু বাইরে থেকে উড়োজাহাজটিতে বিদ্ধ হওয়া।’পূর্ব ইউক্রেনের আকাশে ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হয় বলে এত দিন ধারণা করা হচ্ছিল। প্রতিবেদনটির ভাষ্য মোতাবেক, উড়োজাহাজটিতে অনেকগুলো ‘উচ্চগতিসম্পন্ন বস্তুর’ আঘাত হানার বিষয়টি বের হয়ে আসায় কিছু প্রশ্নের উত্তর মিলেছে। উড়োজাহাজটির রেকর্ডারগুলোতে হঠাৎ করেই তথ্য ধারণ বন্ধ হয়ে যাওয়া, ঘটনার পরপরই নিয়ন্ত্রণকক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া ইত্যাদি ঘটনার ব্যাখ্যা মিলেছে।৩৪ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, ‘কোনো প্রকার যান্ত্রিক সমস্যা বা মনুষ্য-সৃষ্ট ভুল ছিল না।’ আমস্টারডাম থেকে কুয়ালালামপুরগামী উড়োজাহাজটি ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় দোনেৎস্ক এলাকায় বিধ্বস্ত হয়। এলাকাটি রুশপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।উড়োজাহাজটির ব্ল্যাক বক্স, ঘটনাস্থল থেকে তোলা ছবি ও ভিডিওচিত্র এবং ইউক্রেনের বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রণ বিভাগের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে প্রতিবেদন করা হয়েছে। পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন পেতে আগামী বছরের জুন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
91,972
বগুড়া প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
১৭ এপ্রিল ২০১৪, ০২:১১
১৭ এপ্রিল ২০১৪, ০২:১২
বগুড়া,নন্দীগ্রাম,রাজশাহী বিভাগ,বিশাল বাংলা,অপরাধ
0
প্রধান শিক্ষকের হাত-পা ভাঙলেন আ.লীগ নেতা?
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/194401
বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার ভাটরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রাজীব হোসেন হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে স্থানীয় মনিনাগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের হাত-পা ভেঙে দিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই শিক্ষককে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।প্রধান শিক্ষক রাশেদুল ইসলামের অভিযোগ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলামকে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটিতে না রাখায় ক্ষিপ্ত হয়ে তাঁর ছোট ভাই রাজীব হোসেন সন্ত্রাসীদের নিয়ে তাঁর ওপর হামলা চালিয়েছেন।উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয় ও বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয় থেকে ‘ই-প্রাইমারি’ খোলার জন্য প্রতিটি বিদ্যালয় থেকে তথ্যভান্ডার সংগ্রহ করা হচ্ছিল। গতকাল বুধবার বিদ্যালয়ের তথ্যভান্ডারের কাজে মনিনাগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ইউসুফ রব্বানীকে সঙ্গে নিয়ে মোটরসাইকেলে করে ভাটরা ইউনিয়ন তথ্যকেন্দ্রে যাচ্ছিলেন রাশেদুল ইসলাম। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কালিগঞ্জ-নন্দীগ্রাম সড়কে মনিনাগ বাসস্ট্যান্ডের কাছে পৌঁছালে দুর্বৃত্তরা প্রথমে মোটরসাইকেলটি থামায়। এরপর তারা রাশেদুলকে টেনেহিঁচড়ে নামায়। এ সময় তাঁকে হাতুড়ি দিয়ে পেটানো হয়। আর ইউসুফকে মারপিট করে সেখান থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়।রাশেদুল ইসলাম বলেন, ‘রফিকুল ইসলামের ছোট ভাই রাজীব হোসেন, তাঁর ছেলে মৃদুল হোসেনসহ তিনজন সন্ত্রাসী হাতুড়ি, আগ্নেয়াস্ত্র ও ধারালো অস্ত্র হাতে আক্রমণ চালায়। এ সময় রাজীব হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে আমার বাঁ হাত ও পা ভেঙে দেয়। অন্য একজন আমার পায়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে।’রফিকুল ইসলাম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘এটা রাশেদুলের সাজানো নাটক। সাংসদের ডিও লেটার এবং সরকারি দলের নেতা হওয়ার পরও তিনি বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটিতে আমাকে রাখেননি। এখন উল্টো তিনি ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছেন।রাজীব হোসেনের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।
66,381
চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
০১ ডিসেম্বর ২০১৩, ০১:২২
০১ ডিসেম্বর ২০১৩, ০২:২৩
চকরিয়া,কক্সবাজার,চট্টগ্রাম বিভাগ,বিশাল বাংলা
0
সালাহ উদ্দিনের বাসায় তল্লাশি
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/87229
সাবেক যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমদের কক্সবাজারের পেকুয়ার সিকদারপাড়ার গ্রামের বাসায় গতকাল শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় তল্লাশি চালিয়েছে পুলিশ।সালাহ উদ্দিন আহমদের ব্যক্তিগত সহকারী ছফওয়ানুল করিম বলেন, বেলা সাড়ে ১১টায় সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) কামাল হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশ ও বিশেষ আনসার সদস্যরা সালাহ উদ্দিন আহমদের গ্রামের বাসায় তল্লাশি চালান। ওই সময় বাড়িতে কয়েকজন আত্মীয় ছিলেন। তাঁরা বাড়ির ভেতরের কয়েকটি কক্ষ তল্লাশি করে চলে যান। তবে সেখান থেকে কাউকে আটক কিংবা কোনো কিছু জব্দ করা হয়নি।পেকুয়া থানার ওসি মো. হাবিবুর রহমান বলেন, সালাহ উদ্দিন আহমদ গ্রামের বাসায় আছেন কি না জানতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশেই এ তল্লাশি চালানো হয়।
32,131
প্রথম আলো ডেস্ক
international
আন্তর্জাতিক
০৭ জুলাই ২০১৫, ০২:০৭
০৭ জুলাই ২০১৫, ০২:০৯
ইউরোপ
0
আলোচনায় ফিরছে হতবাক ইউরোপ
http://www.prothom-alo.com/international/article/571828
গ্রিসের গণভোটের রায়ে হতবাক ইউরোপ এবং প্রবল পরাক্রমশালী ঋণদাতা সংস্থাগুলো। এ রায়ে হতভম্ব ঋণদাতারা যেমন নড়েচড়ে বসেছে, তেমনি অজানা ভবিষ্যতের শঙ্কায় পড়েছে গ্রিসবাসী। গণভোটের ২৪ ঘণ্টা না পেরোতেই ইউরোপের প্রধান দুই অর্থনীতির দেশজার্মানি ও ফ্রান্সের দুই শীর্ষ নেতা গতকাল সোমবার বৈঠকে বসেছেন। ইউরোজোনের অর্থমন্ত্রীদের শীর্ষ বৈঠক ডাকা হয়েছে আজ মঙ্গলবার। গণভোটের পর বৈশ্বিক মুদ্রা ও পুঁজিবাজারে শুরু হয়েছে অস্থিরতা। খবর এএফপি, রয়টার্স ও বিবিসির।রোববারের নির্বাচন যদি হয় এক বড় ভূমিকম্প, তবে এর এক পরাঘাত (আফটার শক) হলো গ্রিসের ‘নাছোড়’ অর্থমন্ত্রী ইয়ানিস ভারোফাকিসের পদত্যাগ। নির্বাচনের আগে বলেই রেখেছিলেন, ‘হ্যাঁ’ জয়ী হলে পদত্যাগ করবেন তিনি। তবে বিপুল বিজয়ে পদত্যাগ কেন? নিজের ব্লগে এর উত্তর দিয়েছেন ভারোফাকিস। বলেছেন, তাঁর মনে হয়েছে তাঁর পদত্যাগে দেশটির ঋণ সমস্যার সমাধানের পথ সহজ হতে পারে। বলেছেন, ‘ইউরোজোনের অন্যরা চায়, আমি পদে না থাকি। তাতেই এই পদত্যাগ।’ইউরোজোনের অন্য দেশগুলোর বিষয়ে তাঁর বিতৃষ্ণার কথা খোলাখুলিই বলেছেন। গণভোটের আগে ‘ঋণদাতারা সন্ত্রাস’ করছে বলেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। তাঁর কাছে ঋণদাতাদের কৃচ্ছ্রসাধনের প্রস্তাব হলো ‘অসুস্থ গাভির দুধ দোয়ানোর চেষ্টার মতো।’ঋণদাতাদের এই চাওয়াকে মেনে নেননি ভারোফাকিস, সেই সঙ্গে গ্রিসের সরকার। বিপুল ঋণ থেকে গ্রিসের অর্থনীতিকে উদ্ধার করতে কঠোর শর্ত দিয়ে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার (বেইল আউট) ঘোষণা করে ঋণদাতারাই। এই অর্থ পেতে শর্ত জুড়ে দেয়। সেগুলো ছিল বিক্রয়মূল্যের ওপর কর বাড়ানো, পেনশনে কাটছাঁট ও প্রতিরক্ষা ব্যয় কমানো। ২০০৮ সাল থেকে শুরু হওয়া আর্থিক সংকট কাটিয়ে উঠতে সে সময় থেকে দফায় দফায় ঋণ নিয়েছিল গ্রিস। এর পরিমাণ ১৬৯ বিলিয়ন ইউরো। ঋণদাতাদের কৃচ্ছ্রসাধনের এসব প্রস্তাব নিয়ে কয়েক মাসের আলোচনা নিষ্ফল হয়ে যায়। এর মধ্যে একপর্যায়ে এসে গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী অ্যালেক্সিস সিপ্রাস ঘোষণা দেন, বেইল আউট কর্মসূচি নিয়ে গণরায় চান তিনি। ৫ জুলাইয়ের নির্বাচনের আগেই গত ৩০ জুন শেষ হয়ে যায় ঋণদাতা আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ১৬০ কোটি ইউরো ফেরত দেওয়ার সময়সীমা। রোববারের নির্বাচনে মোট ভোটারের ৬৩ শতাংশ অংশ নেয়। ৬১.৩১ শতাংশ গ্রিসবাসী জানিয়ে দেয়, দাতাদের প্রস্তাবের বিরুদ্ধে তারা। প্রস্তাবের পক্ষে সমর্থন দেন ৩৯ শতাংশ ভোটার। এই রায়কে ‘অত্যন্ত সাহসী ইচ্ছার প্রতিফলন’ বলে অভিনন্দিত করেছেন প্রধানমন্ত্রী সিপ্রাস। তিনি বলেছেন, ‘আপনাদের দেওয়া রায়ের অর্থ এই নয় যে আমরা ইউরোপ থেকে বের হয়ে যাব। এই বিজয়ের অর্থ, সমস্যার ন্যায্য সমাধানে আমাদের দর-কষাকষির ক্ষমতা বাড়াল।’তবে গণভোটের আগে নাখোশ ইউরোপীয় প্রতিপক্ষরা বলেই ফেলেছিল, নির্বাচনে ‘হ্যাঁ’ এর অর্থ ইউরোজোন থেকে গ্রিসের নিশ্চিত বিদায়। তবে সিপ্রাস বলেছেন, তিনি আলোচনার টেবিলে আবার ফেরত যেতে চান। তিনি যে আলোচনার দরজা বন্ধ করেননি, তা জানান দিয়ে ফোন করে কথা বলেন গ্রিসের ওপর চরম বিরক্ত জার্মানির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল, ঋণদাতা সংস্থা ইউরোপীয় সেন্ট্রাল ব্যাংকের (ইসিবি) প্রধান মারিও দ্রাগিম ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে। সিপ্রাস একাই নন, গ্রিসের প্রেসিডেন্ট প্রোকোপিস পাভলোপউলোস কথা বলেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদের সঙ্গেও।ম্যার্কেলের সঙ্গে সিপ্রাসের ফোনালাপে সাব্যস্ত হয়, আজ মঙ্গলবার ইউরোজোনের অর্থমন্ত্রীদের বৈঠকে নতুন প্রস্তাব জার্মানির কাছে তুলে ধরবেন গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী।এখন গ্রিসের ব্যাংকিং খাত বাঁচাতে একমাত্র ভরসা ইসিবির পরিচালনা পরিষদও গতকাল বৈঠক সারে। এদিকে গ্রিসের জনরায়ের পর স্পেন জানিয়ে দিয়েছে, গ্রিসের নতুন কোনো প্রস্তাব নিয়ে আলোচনায় তারা রাজি। দেশটির আর্থিক খাতবিষয়ক মন্ত্রী লুয়েস দ্য গুন্দেজ বলেন, ‘নতুন কোনো প্রস্তাব চাওয়ার অধিকার আছে স্পেনের।’গ্রিসের এই বিজয়ে ঋণদাতারা শঙ্কিত নয়, এমনটাই বলেছেন ইউরোপিয়ান কমিশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট ভালদিজ দমব্রোভসকিস। তিনি বলেন, ‘পরিস্থিতি সামলানোর মতো সবকিছুই আমাদের আছে।’ঋণগ্রস্ত গ্রিস আর ঋণদাতাদের মধ্যে কার্যকর কোনো আলোচনা হবে কি না, এর ফল কী হবে—এসব প্রশ্নের উত্তর দেবে ভবিষ্যৎ। সেই ভবিষ্যতের পথনির্দেশে গ্রিসের নির্বাচন বিরাট মোড় পরিবর্তনকারী ঘটনা। নির্বাচনের আনন্দের বিজয় অজানা ভবিষ্যতের শঙ্কায় ম্লান হয়ে গেছে যদিও। তবে সদ্য পদত্যাগী অর্থমন্ত্রী ভারফোকিস যেমনটা বলেছেন, ‘এ নির্বাচন ঋণের প্রবল বাধার বিরুদ্ধে ছোট ইউরোপীয় একটি জাতির প্রতিরোধের একটি মুহূর্ত হিসেবে ইতিহাসে স্থান পাবে।’
150,859
অনলাইন ডেস্ক
international
আন্তর্জাতিক
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ২১:৩৬
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ২২:৪৫
ভারত
0
গুজরাটে সেতু থেকে বাস নদীতে, নিহত ৩৭
http://www.prothom-alo.com/international/article/760921
ভারতের গুজরাটে যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সেতুর রেলিং ভেঙে থেকে নদীতে পড়ে গিয়ে শিক্ষার্থীসহ ৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ২৭ যাত্রী। আজ শুক্রবার টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গুজরাটের দক্ষিণাঞ্চলীয় জেলা নভসারি থেকে ২৮৫ কিলোমিটার দূরে সুপা গ্রামের কাছে আজ বিকেলে এই দুর্ঘটনা ঘটে। বাসটি নভসারি থেকে উকাই যাচ্ছিল। বাসটিতে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ অন্তত ৫০ থেকে ৬০ জন যাত্রী ছিল। নভসারির পুলিশ সুপার এমএস ভারদা বলেন, ‘নভসারির সুপা গ্রামের কাছে পূর্ণা নদীর ওপর সেতু থেকে বাসটি নদীতে পড়ে যায়। এ ঘটনার পর নদী থেকে ৩৭ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।’এমএস ভারদা আরও বলেন, উদ্ধারকাজে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও ১০৮টি অ্যাম্বুলেন্স রয়েছে। আহতদের নভসারির বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে।
198,801
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
bangladesh
বাংলাদেশ
৩০ ডিসেম্বর ২০১৬, ০১:০৮
৩০ ডিসেম্বর ২০১৬, ০১:০৮
চট্টগ্রাম,চট্টগ্রাম বিভাগ,বিশাল বাংলা
0
‘সচেতনতা নারী নির্যাতন কমায়’
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1049063
সচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে সুবিধাবঞ্চিত নারীদের আইনি অধিকার সুরক্ষা, নারী নির্যাতন বন্ধ ও বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ করা সম্ভব। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ছয়টি ওয়ার্ডে পরিচালিত এক গবেষণায় এর প্রমাণ পাওয়া গেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার নগরের চেরাগী মোড়ের সুপ্রভাত স্টুডিও হলে গবেষণা ফলাফল প্রকাশ উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা এসব কথা বলেন।বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্রাইট বাংলাদেশ ফোরামের ‘এসো জাগি’ প্রকল্পের আওতায় এ গবেষণা চালানো হয়। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের চেয়ারম্যান আবুল বাশার মো. আবু নোমান এ গবেষণা করেছেন।সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ২০১৩ সালে ‘এসো জাগি’ প্রকল্পের কাজ শুরু করে ব্রাইট বাংলাদেশ ফোরাম। ২০১৭ সালের মার্চ মাসে এর মেয়াদ শেষ হবে। প্রকল্পের আওতায় ছয়টি ওয়ার্ডে সচেতনতা বৈঠক, সভা, কর্মশালা, সেমিনার, আইনি সহায়তাকেন্দ্র স্থাপন ও আইনি তথ্য সহায়তা দেওয়া হয়। ২০১৩ সালে প্রকল্পের শুরুতে প্রকল্প এলাকার ৩১ শতাংশ নারী নিজেদের আইনি অধিকার সম্পর্কে জানতেন, তিন বছর পর এখন সেখানকার ৭৭ শতাংশ নারী এ বিষয়ে জানেন। তেমনি বাল্যবিবাহ ৬৫ থেকে কমে ১১ শতাংশ হয়েছে, নারী নির্যাতন ৮১ থেকে কমে ৩০ শতাংশ হয়েছে।সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, সিটি করপোরেশনের অন্যান্য ওয়ার্ডে এ কার্যক্রম সরাসরি না থাকায় সচেতনতার ও আইনি সেবা গ্রহণের হারও তুলনামূলক কম।ব্রাইট বাংলাদেশ ফোরামের প্রধান নির্বাহী উৎপল বড়ুয়ার সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের চেয়ারম্যান আবুল বাশার মো. আবু নোমান, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড কাউন্সিলর শফিউল আলম, আবিদা আজাদ, ফারজানা পারভীন, ব্রাইট বাংলাদেশ ফোরামের উপদেষ্টা রাজ্জাকুল হায়দার খান, উন্নয়ন সংস্থা ইলমার প্রধান নির্বাহী জেসমিন সুলতানা, ব্রাইট বাংলাদেশ ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য নাসরিন সুলতানা খানম, প্রকল্প সমন্বয়কারী সৈয়দ আসাদুল হক প্রমুখ।
278,717
অনলাইন ডেস্ক
sports
খেলা
১৪ জুন ২০১৬, ১২:৩৪
১৪ জুন ২০১৬, ১২:৫৪
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট
0
স্যামুয়েলসের ব্যাটে উইন্ডিজের জয়
http://www.prothom-alo.com/sports/article/887713
সম্মিলিত প্রয়াস বলাই ভালো। কিন্তু আলাদাভাবে নিতে হবে মারলন স্যামুয়েলসের নাম। তাঁর ৯২ রানের দুর্দান্ত ইনিংসটিই হয়ে আছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংসের মেরুদণ্ড। শক্ত মেরুদণ্ডে ভর দিয়েই আগে ব্যাট করে অস্ট্রেলিয়ার তোলা ২৬৫ রানকে ২৬ বল বাকি রেখে টপকে গেছে ক্যারিবীয়রা। ৪ উইকেটের এই পরাজয় ত্রিদেশীয় সিরিজে অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় হার।টসে জিতে অস্ট্রেলিয়াকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়ে কিন্তু বিশাল রানের নিচে চাপা পড়ার ঝুঁকিতেই ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ব্যাটিং অর্ডারে ১ নম্বরে উঠে আসা উসমান খাজার ৯৮ রান গড়ে দিয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার বড় সংগ্রহের ভিত্তি। মাত্র ২ রানের জন্য ক্যারিয়ারের প্রথম ওয়ানডে সেঞ্চুরিটি পাননি খাজা। তবে তাঁর গড়ে দেওয়া ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে ভালোই ব্যাট করছিলেন স্টিভেন স্মিথ ও জর্জ বেইলি। স্মিথ ৭৪ আর বেইলি ৫৫ রানে আউট হলে পথ হারিয়ে ফেলে অস্ট্রেলিয়াও। ৩৪ ওভারে ১ উইকেটে ১৭১ থেকে যেখানে বড় সংগ্রহের দিকেই এগোনোর কথা অস্ট্রেলিয়ার, সেখানে তাদের ইনিংস শেষ হয় ৭ উইকেটে ২৬৫ রানেই।ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে ২টি করে উইকেট তুলে নিয়েছেন জেসন হোল্ডার, ক্রেইগ ব্রাফেট ও কাইরন পোলার্ড।অস্ট্রেলিয়ার ২৬৫ রানের জবাবটা শুরু থেকেই দারুণভাবে দিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ১০ ওভারের আগেই বিনা উইকেটে ৭৪ রান তুলে ফেলা ক্যারিবীয়রা বাকি কাজটা করেছেন মাথা ঠান্ডা রেখেই। মারলন স্যামুয়েলসের ব্যাট থেকে এসেছে ৯২, এর আগে দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান জনসন চার্লস ৪৮ আর আন্দ্রে ফ্লেচার ২৭ রান করে বাড়িয়ে দিয়ে গিয়েছিলেন আত্মবিশ্বাসটা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের জয়টা আরও উপভোগ্য হতে পারত, যদি স্যামুয়েলস সেঞ্চুরি পেতেন। ৮৭ বলে ৮ চার আর ৪ ছয়ে সাজানো তাঁর এই ইনিংস শেষ হয় রান আউটের দুর্ভাগ্যে।স্যামুয়েলস ও চার্লসের দুটি ইনিংসের সঙ্গে ডোয়াইন ব্রাভোর ৩৯, দিনেশ রামদিনের ২৯ আর কাইরন পোলার্ডের ১৬ রানে জয় নিশ্চিত হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজের। অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে নাথান কোল্টার নাইল ও অ্যাডাম জামপা ২টি করে উইকেট নিলেও তা অস্ট্রেলিয়ার জন্য যথেষ্ট হয়নি। সূত্র: রয়টার্স।
231,978
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
bangladesh
বাংলাদেশ
০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪, ০১:৫২
০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪, ০৩:১৩
বিশাল বাংলা,পরিবেশ,চট্টগ্রাম,চট্টগ্রাম বিভাগ
0
প্রতিকূলতার মধ্যে বেড়ে উঠছে গাছ
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/311512
যেখানে-সেখানে পড়ে আছে ইট, লোহা ও কাঠের টুকরা। পাশেই গুঁড়িয়ে দেওয়া দুটি ভবনের কাঠামো, যন্ত্রপাতি ও ভাঙা ক্রেন। এরই মধ্যে বেড়ে উঠছে চারা গাছ।এ দৃশ্য চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি উপকূলে উচ্ছেদ করা দুটি জাহাজভাঙা ইয়ার্ডের।সূত্র জানায়, সোনাইছড়িতে উপকূলীয় বনভূমির ১৫ হাজার গাছ কেটে নির্মাণ করা হয় ওই দুটি জাহাজভাঙা ইয়ার্ড। পরে বন বিভাগের সঙ্গে মামলায় হেরে যায় ইয়ার্ডের মালিকপক্ষ। উচ্চ আদালতের রায়ে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি পাশাপাশি অবস্থিত ইয়ার্ড দুটি উচ্ছেদ করা হয়। ইয়ার্ড দুটি হলো: মধ্যম সোনাইছড়ির এস কে স্টিল এবং এস কে শিপ ব্রেকিং অ্যান্ড রিসাইক্লিং। উচ্ছেদের পর আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী তখনই পুনরায় সেখানে বনায়ন শুরু হয়।বনকর্মীরা বলেন, জাহাজভাঙা ইয়ার্ড স্থাপনের কারণে এখানে মাটি হারিয়েছে তার স্বাভাবিক উর্বরতা শক্তি। এর ফলে সাড়ে ছয় হাজার চারা গাছের মধ্যে বেশ কিছু মারা যাচ্ছে। তবু বনকর্মীরা আশাবাদী এখানে আবার সবুজ বেষ্টনী গড়ে উঠবে।সরেজমিনে দেখা যায়, ছয় মাসে গাছের চারাগুলো দুই থেকে তিন ফুট উঁচু হয়েছে। চারার ফাঁকে ফাঁকে মাটির ওপর লোহার খণ্ড, কংক্রিট ও ইটের অনেক টুকরা। বনকর্মীরা গাছের পরিচর্যা করে যাচ্ছেন। মাঝেমধ্যে বেশ কিছু চারা মারা গেছে।এখানে ঝাউ, আকাশমণি, কড়ই, নিম, রেইনট্রি, গামারিসহ আট প্রজাতির গাছের চারা লাগানো হয়েছে। বনভূমি পালাক্রমে পাহারা দিচ্ছেন সাতজন বনকর্মী।জিয়াউর রহমান নামের একজন বনকর্মী বলেন, ‘ইয়ার্ড উচ্ছেদের পর এই চারা লাগানো হয়। ইট-লোহার কারণে গাছের বৃদ্ধিটা একটু কম হচ্ছে। কিছু কিছু মারাও যাচ্ছে। আমরা আবার নতুন করে চারা লাগিয়ে দিচ্ছি।’তবে চারা লাগানো হলেও এখনো ইয়ার্ডের স্থাপনা পুরোপুরি উচ্ছেদ করা যায়নি। ভাঙা ভবন দুটি এখনো আছে। এ ছাড়া ইয়ার্ডের ড্রাম, যন্ত্রপাতি, ক্রেনসহ নানা সামগ্রী পড়ে আছে।উপকূলীয় বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) আর এস এম মুনিরুল ইসলাম বলেন, ‘২০০৯ সালে গাছ কেটে এই ইয়ার্ডগুলো তৈরি করা হয়। উচ্চ আদালতের আদেশে ইয়ার্ড উচ্ছেদ করে পুনরায় গাছ লাগানো হয়। গাছগুলো এখন বেড়ে উঠছে। উচ্ছেদ কাজ শেষ। তবে টাকার অভাবে স্থাপনাগুলো সেখান থেকে অন্যত্র নিতে পারিনি। সেটা কয়েক মাসের মধ্যে হয়ে যাবে।’
90,956
নিজস্ব প্রতিবেদক
bangladesh
বাংলাদেশ
৩০ এপ্রিল ২০১৪, ১৫:৪৮
৩০ এপ্রিল ২০১৪, ১৭:০৯
আইন ও বিচার
null
স্ত্রী-ছেলেসহ জামিন পেলেন মোরশেদ খান
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/205465
অবৈধভাবে বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগে করা মামলায় জামিন পেয়েছেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিএনপির নেতা মোরশেদ খান, তাঁর স্ত্রী নাসরিন খান ও ছেলে ফয়সাল মোরশেদ খান। ঢাকার মহানগর হাকিম আতিকুর রহমান আজ বুধবার বিকেলে এ আদেশ দেন।আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর অবৈধভাবে ৩৯৫ মার্কিন ডলার লেনদেনের অভিযোগে মোরশেদ খান, তাঁর স্ত্রী ও ছেলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপপরিচালক মনিরুজ্জামান। মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধীন।আজ বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে স্ত্রী-ছেলেসহ মোরশেদ খান আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন জানান। তাঁদের উপস্থিতিতে শুনানি শেষে আদালত তিনজনের জামিন মঞ্জুর করেন।এই আদেশের বিরুদ্ধে দুদক উচ্চ আদালতে যাবে কি না, জানতে চাইলে দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘আদেশ দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
69,647
নিজস্ব প্রতিবেদক, সাভার
bangladesh
বাংলাদেশ
০৮ মার্চ ২০১৫, ২৩:১৪
০৮ মার্চ ২০১৫, ২৩:১৬
সাভার,ঢাকা বিভাগ,অপরাধ
0
সাভারে সরবরাহ লাইন ফেটে বের হচ্ছে গ্যাস
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/471568
সাভারের রাজ ফুলবাড়িয়া এলাকায় বংশী নদীতে ট্রলারের ধাক্কায় তিতাসের সঞ্চালন লাইন ফেটে গেছে। এর ফলে ওই জায়গা দিয়ে তীব্র গতিতে গ্যাস বের হচ্ছে। আজ বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে ঘটনাটি ঘটে। রাত দশটা পর্যন্ত ফেটে যাওয়া লাইন মেরামত করতে যায়নি কেউ।স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আজ বিকেলে একটি বালুবাহী ট্রলার ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ফুলবাড়িয়া সেতুর নিচ দিয়ে যাওয়ার সময় নদীর তলদেশ দিয়ে নেওয়া তিতাসের পাইপ লাইনে ধাক্কা মারে। এতে সরবরাহ লাইন ফেটে তীব্র গতিতে গ্যাস বের হতে থাকে।তিতাস গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন অ্যান্ড ট্রান্সমিশন কোম্পানির সাভার আঞ্চলিক বিপণন কেন্দ্র থেকে জানা গেছে, ক্ষতিগ্রস্ত লাইনটির ব্যাসার্ধ ১০ ইঞ্চি। ওই লাইনের মাধ্যমে সাভার থেকে হেমায়েতপুরসহ আশপাশের এলাকায় গ্যাস সরবরাহ করা হয়। লাইনটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ওই এলাকায় গ্যাস সরবরাহ বিঘ্নিত হচ্ছে।তিতাস সাভার আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) শেখ আবু রায়হান বলেন, গ্যাস বের হওয়ার খবর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আগামীকাল সকালে (আজ সোমবার) মেরামত কাজ শুরু হবে।
121,199
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
১৮ এপ্রিল ২০১৫, ০২:১৭
১৮ এপ্রিল ২০১৫, ০২:১৯
চুয়াডাঙ্গা,খুলনা বিভাগ,খবর
0
‘কৃষি খাতকে জৈব সারনির্ভর করা হবে’
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/505768
শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেছেন, দেশের কৃষি খাতকে ক্রমান্বয়ে জৈব সারনির্ভর করে তোলা হবে। এতে জমির উর্বরতা বৃদ্ধির পাশাপাশি রাসায়নিক সারের আমদানিনির্ভরতা কমবে। ফলে বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হওয়ার পাশাপাশি পরিবেশের ভারসাম্যও রক্ষা পাবে।গতকাল শুক্রবার বিকেলে চুয়াডাঙ্গা সদরের আকন্দবাড়িয়ায় কেরুজ জৈব সার কারখানা উদ্বোধন উপলক্ষে এক সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। কেরু অ্যান্ড কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ বি এম আরশাদ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন জাতীয় সংসদের হুইপ চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সাংসদ সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার, চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সাংসদ আলী আজগার প্রমুখ।
132,129
সরাফ আহমেদ
opinion
মতামত
২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৮:২৯
২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৮:৩১
সরাফ আহমেদ,লেখকের কলাম,আন্তর্জাতিক
null
জার্মানির নির্বাচন, অনেক আশা ও একটি দুরাশা
http://www.prothom-alo.com/opinion/article/1330051
কাল জার্মানির নির্বাচন। এ মুহূর্তে ইউরোপের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন বলা যায় একে। কিন্তু মিছিল নেই, মিটিং নেই, মাইক নেই, নেই পথসভা হইহুল্লোড় এবং নেই রক্তারক্তি। তবু নির্বাচন। বাংলাদেশের কোনো সাংবাদিক বা পর্যটক জার্মানির পার্লামেন্ট নির্বাচন স্বচক্ষে অবলোকন করতে এলে নিঃসন্দেহে নিরাশ হবেন। নির্বাচন নিয়ে যা আছে তা হলো দেশজুড়ে নির্ধারিত জায়গায় বা বিলবোর্ডে দলের ও প্রার্থীদের ছবি বা বক্তব্য-সংবলিত পোস্টার এবং পত্রপত্রিকা ও টেলিভিশনে দলীয় বিজ্ঞাপন।সাপ্তাহিক ছুটির দিন রোববারে নির্বাচন হওয়াই রেওয়াজ এ দেশে। সুতরাং নির্বাচনের খাতিরে বাড়তি ছুটির বরাদ্দ নেই। জার্মানির নির্বাচন আইন অনুযায়ী নির্বাচন ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব হলো জার্মানির নির্বাচন প্রশাসনের। নির্বাচনী প্রশাসন ইতিমধ্যেই ভোটারদের বাড়িতে ছয় সপ্তাহ আগে নির্বাচনী এলাকার নাম ও ভোটকেন্দ্রের ঠিকানা ও ভোট দেওয়ার সময়সহ কার্ড পাঠিয়েছেন। নির্বাচনে সহয়তার জন্য এই প্রশাসন জার্মানিজুড়ে ছয় লাখ স্বেচ্ছাসেবী নিয়োগ দিয়েছে। এই অবৈতনিক বা ২৫ থেকে ৩৫ ইউরো নামমাত্র সম্মানীপ্রাপ্ত স্বেচ্ছাসেবীরা নির্বাচনের দিন সকাল আটটা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত ভোটকেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করবেন। এই স্বেচ্ছাসেবীরাই ভোট গণনাসহ সব কাজ সম্পন্ন করে নির্বাচন ফলাফল স্থানীয় নির্বাচন প্রশাসনিক দপ্তরে পাঠিয়ে দেবেন। ভোটাররা তাঁদের কাছে পাঠানো নির্বাচনী কার্ড ও পরিচয়পত্র নির্বাচনী স্বেচ্ছাসেবীদের দেখিয়ে ভোট দিতে পারবেন।এবারের ভোটারের সংখ্যা প্রায় ৬ কোটি ১০ লাখ, নারী ভোটারের সংখ্যা প্রায় ৩ কোটি ১০ লাখ আর পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ৩ কোটির কাছাকাছি। এই ভোটাররা প্রত্যেকে দুটি করে ভোট দিতে পারবেন। একটি ভোট প্রার্থীকে অপরটি দলকে। কোনো দল মোট ভোটের ৫ শতাংশ ভোট না পেলে সেই দলের সংসদে যাওয়ার সুযোগ নেই। জার্মান পার্লামেন্টে ৫৯৮ আসনের মধ্যে ২৯৯টি আসনে সরাসরি নির্বাচন হবে, আর বাকি ২৯৯ আসনে দলীয় ভোটপ্রাপ্তির শতাংশের হিসাব অনুযায়ী বিভিন্ন দলের তৈরি করা সাংসদ প্রার্থী তালিকা থেকে সংসদ সদস্য হবেন।চার বছর পর আগামীকাল আবার জার্মানির উনিশতম নির্বাচন হতে যাচ্ছে। নির্বাচন হওয়ার চার দিন আগে পার্লামেন্টের শেষ অধিবেশনে সব দলের সাংসদেরা বন্ধুত্ব ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে একে অপরকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন এবং জার্মানির গণতান্ত্রিক ঐতিহ্য সমুন্নত রাখার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন।জার্মান পার্লামেন্টের সভাপতি নর্বাট লেমার্ট তাঁর বিদায়ী বক্তব্যে জার্মানির সব ভোটারকে ভোট দিতে যাওয়ার অনুরোধ করেছেন। ভোট-ক্ষমতা প্রয়োগ না করে রাজনীতিকে ভবিষ্যতের হাতে ছেড়ে না দেওয়ার কথা বলে তিনি বলেছেন, জার্মানির গণতন্ত্র আপাত শক্তিশালী ও ইউরোপীয় ঐক্যের পথে যথেষ্ট এগিয়ে গেলেও অনেকেই তাতে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছে এবং পুনরায় অতি জাতীয়তাবাদী রাজনীতির প্রাচীর তোলার চেষ্টাও চলছে। তিনি বলেন, বার্লিনের প্রাচীর, পূর্ব-পশ্চিমের প্রাচীরের তিক্ত অভিজ্ঞতা আমাদের আছে। খ্রিষ্টান গণতান্ত্রিক দলের নর্বাট লেমার্ট ৩৭ বছরের বর্ণাঢ্য সাংসদ সদস্য ও গত ১২ বছর পার্লামেন্ট স্পিকারের দায়িত্ব পালন করে রাজনীতি থেকে বিদায় নিলেন।জার্মানির বর্তমান চ্যান্সেলর ও ক্ষমতাসীন ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্রেটিক ইউনিয়ন দলের সভানেত্রী জার্মানির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল এবারও চতুর্থবারের মতো তাঁর দলের চ্যান্সেলর প্রার্থী এবং তাঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক দলের নেতা ও ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সাবেক সভাপতি মার্টিন শুলজ। তবে এর বাইরে রয়েছে বর্তমান পার্লামেন্টের বিরোধী দল, বাম দল, পরিবেশবাদী সবুজ দল, লিবারেল গণতান্ত্রিক দল এবং কট্টর ডানপন্থী জার্মানির জন্য বিকল্প নামক দলটি।সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী ক্ষমতাসীন জোট সরকারের বড় শরিক দল ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্রেটিক ইউনিয়ন পেতে যাচ্ছে ৩৬ শতাংশ ভোট, সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক দল ২২ শতাংশ আর সবাইকে অবাক করে দিয়ে চার বছর আগে গঠিত কট্টর ডানপন্থী জার্মানির জন্য বিকল্প নামক দলটি পেতে যাচ্ছে ১০ শতাংশ ভোট। ইসলাম, শরণার্থী ও অভিবাসী বিরোধী জার্মানির জন্য বিকল্প বা অল্টানেটিভ ফর ডয়েচল্যান্ড নামের দলটি এবারের পার্লামেন্টে ভোট প্রাপ্তির শতাংশ হিসাবে ৭০ আসন পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জার্মানির সংসদে এ ধরনের জাতীয়তাবাদী কট্টরপন্থী দলের বিশালসংখ্যক আসন নিয়ে পার্লামেন্টের প্রতিনিধিত্ব নিয়ে জার্মানির রাজনৈতিক মহলে অনেকেই শঙ্কিত। তবে ষাটের দশকেও জার্মানির পার্লামেন্টে এ ধরনের জাতীয়তাবাদী কট্টরপন্থা দল ডয়েচে পার্টাই বা বুন্ড ডর হাইমাটভারব্যান্ড নামক দলগুলোর অস্তিত্ব ছিল, যাদের অনেকেই হিটলারের নাৎসি দলের সমর্থক ছিলেন। ইউরোপজুড়ে যেভাবে ডানপন্থী উগ্র জাতীয়তাবাদী দলগুলো শরণার্থী ও মুসলিমবিরোধী জিগির তুলছে, জার্মানি তার বিরুদ্ধে শক্ত বাঁধ ঠিকই, তবে এবারে তাতে ফাটল ধরানোর চেষ্টা হবে।জার্মান পররাষ্টমন্ত্রী সামাজিক গণতান্ত্রিক দলের নেতা সিগম্যার গাব্রিয়েল নির্বাচনের আগে বলেছেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর ৭০ বছর পর জার্মানিতে এই ধরনের অতি জাতীয়তাবাদী বর্ণবাদী ধর্মবাদী দল অল্টানেটিভ ফর ডয়েচল্যান্ড দলটিকে সমবেত রাজনীতি দিয় মোকাবিলা করতে হবে। জার্মানির বর্তমান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল ভোটের আগে বলেছেন, গণতন্ত্রকে সমুন্নত রাখতে আপনারা সবাই ভোট দিতে যাবেন এবং জার্মানির সংবিধানকে যাঁরা শতভাগ নিরাপদ রাখবেন, সেই দলগুলোকেই ভোট দিতে অনুরোধ করেছেন।জার্মানির মতো ইউরোপের বিভিন্ন দেশে স্থানীয় সমস্যা, শরণার্থী, ধর্ম, বর্ণকে পুঁজি করে জার্মানির অল্টানেটিভ ফর ডয়েচল্যান্ড দলটির মতো দলগুলো দাঁড়ানোর চেষ্টা করলেও আশার কথা সব জায়গাতেই তারা রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে প্রবল প্রতিরোধের সম্মুখীন হচ্ছেন।সরাফ আহমেদ: প্রথম আলোর জার্মানি প্রতিনিধিsharaf.ahmed@gmx.net
339,179
ক্রীড়া প্রতিবেদক
sports
খেলা
০২ আগস্ট ২০১৩, ০২:১৩
০২ আগস্ট ২০১৩, ০২:১৬
খেলা,আন্তর্জাতিক ফুটবল
null
সবচেয়ে দামি বেল!
http://www.prothom-alo.com/sports/article/33548
হোসে মরিনহোর সেই কথাটাই সত্যি হতে চলেছে। রিয়াল মাদ্রিদের এত টাকা যে ওরা কাউকে কিনতে চাইলে শেষ পর্যন্ত তাকে নিয়েই ছাড়ে।নেইমারের বেলায় পারেনি সত্যি। কিন্তু গ্যারেথ বেলকে বোধ হয় আর চাইলেও ধরে রাখতে পারবে না টটেনহাম। ১২৯ মিলিয়ন ডলারের (৯৭ মিলিয়ন ইউরো আর ৮৫ মিলিয়ন পাউন্ড) প্রস্তাব পেয়েও গড়িমসি করছিল ইংলিশ ক্লাব। কিন্তু এখন বেল নিজেই সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে যেতে মরিয়া। ইংলিশ সংবাদমাধ্যমের খবর, পরশু দলের অনুশীলন ছেড়েই বেরিয়ে গেছেন এই ওয়েলস উইঙ্গার। মাঠ ছেড়ে যাওয়ার আগে নাকি কোচ আন্দ্রে ভিলাস-বোয়াসের কাছে জানিয়ে গেছেন ক্লাব ছাড়ার চূড়ান্ত ইচ্ছের কথা!মজার ব্যাপার হচ্ছে, বছর চারেক আগে এই বেলেরই বাজারদর ছিল মাত্র ৩ মিলিয়ন পাউন্ড! বার্মিংহামের তখনকার কোচ অ্যালেক্স ম্যাকলিশ এই দামে তাঁকে একবার কিনতে চেয়েও পরে আর নেননি। আগ্রহ দেখান নটিংহাম ফরেস্টের কোচ বিলি ডেভিসও। সেই বেল এখন বিশ্বের সবচেয়ে দামি ফুটবলার হয়ে রেকর্ড গড়ার পথে। পরশু হোয়াইট হার্ট লেনে অনুশীলন ছেড়ে যাওয়ার আগে বেল-বোয়াসের মধ্যে ঠিক কী কথাবার্তা হয়েছে জানা যায়নি। তবে গত মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগের সেরা ফুটবলারকে যে টটেনহাম বেশি দিন ধরে রাখতে পারছে না তা পরিষ্কার রিয়াল দূত জিনেদিন জিদানের কথায়, ‘ও যদি রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দেওয়ার কথা ভেবে থাকে, তাহলে টটেনহামের উচিত ওকে আমাদের সঙ্গে কথা বলতে দেওয়া। রিয়াল মাদ্রিদে খেলার সুযোগ একজন খেলোয়াড়ের জীবনে একবারই আসে। বোঝাই যাচ্ছে বেল সুযোগটা নষ্ট করতে চায় না।’ তবে এতটা সরাসরি না বললেও বেলকে পাওয়ার জন্য যে রিয়াল সব রকম চেষ্টা চালাচ্ছে সেটি অস্বীকার করেননি নতুন কোচ কার্লো আনচেলত্তি, ‘ওর বিষয়ে কথা বলা একটু কঠিন। কারণ সে রিয়াল মাদ্রিদের ফুটবলার নয়। তবে আমার বিশ্বাস ক্লাব এ নিয়ে কথা বলছে এবং একটা গ্রহণযোগ্য সমাধানের চেষ্টা করছে। দেখা যাক কী হয়।’ ডেইলি মেইল জানিয়েছে, বেলকে বিক্রি করবে বলেই নাকি টটেনহাম ভ্যালেন্সিয়ার কাছ থেকে ৩০ মিলিয়ন ইউরোতে কিনে নিয়েছে স্প্যানিশ স্ট্রাইকার রবার্তো সলদাদোকে। এর সঙ্গে রিয়ালের সম্ভাবনাময় তরুণ তারকা আলভারো মোরাতার দিকেও তাদের নজর। তবে তাঁকে নগদে কেনার চেয়ে বেলের চুক্তিতে কোনোভাবে যোগ করে নেওয়া যায় কিনা সে কথাই ভাবছে টটেনহাম।প্রাক-মৌসুম প্রস্তুতিতে দল নিয়ে আনচেলত্তি ও জিদান দুজনেই এখন যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে। ইংলিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, সামনের সপ্তাহেই রিয়াল সভাপতি ফ্লোরেন্তিনো পেরেজের সঙ্গে মায়ামিতে বেলের বিষয়ে বৈঠকে বসবেন টটেনহাম সভাপতি ড্যানিয়েল লেভি। পাকা কথা হয়ে যেতে পারে ওখানেই।শেষ পর্যন্ত বেলের দাম কত উঠছে সেটা অবশ্য এখনো নিশ্চিত জানা যায়নি। তবে ১২৯ মিলিয়ন ইউরো বেলের মতো একজনের আসলেই পাওনা নাকি এটা রিয়ালের অহং ধরে রাখার লড়াইয়ের ফল, সে প্রশ্নও উঠছে। সাবেক রিয়াল তারকা ও সোয়ানসি সিটির এখনকার কোচ মাইকেল লাউড্রপ যদিও বলছেন, ‘রিয়াল যদি বেলের জন্য ১০০ মিলিয়ন পাউন্ড খরচ করতে চায়, তাহলে বুঝতে হবে ওর সেটা আসলেই প্রাপ্য।’এটা লাউড্রপের কথা। কিন্তু রিয়ালের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনা মিডফিল্ডার জাভি কিন্তু বলছেন উল্টো কথা, ‘আমি জানি না বেল আসলেই এর যোগ্য কিনা। আমি ওকে কখনো পুরো ম্যাচ খেলতে দেখিনি।’ ওয়েবসাইট।যেভাবে বেড়েছে বেলের দামমিলিয়ন পাউন্ডমে ২০০৭ সাউদাম্পটন থেকে টটেনহামে ৫মে ২০০৯ বার্মিংহাম আগ্রহ দেখিয়ে পরে সরে যায় ৩নভেম্বর ২০০৯ বেলকে কিনতে চায় নটিংহাম ফরেস্ট ৩এপ্রিল ২০১০ জুভেন্টাসের প্রস্তাব ১৪অক্টোবর ২০১০ ইন্টার মিলানের প্রস্তাব ২২ডিসেম্বর ২০১১ বার্সেলোনা কিনতে চায় বলে গুঞ্জন ২৫মে ২০১২ ম্যানচেস্টার সিটির প্রস্তাবের গুঞ্জন ৪০অক্টোবর ২০১২ রিয়াল মাদ্রিদ প্রথম হাত বাড়ায় ৫০মে ২০১৩ রিয়াল মাদ্রিদ আরও বেশি দিতে রাজি ৬০জুলাই ২০১৩ ইতিহাসের সবচেয়ে দামি ফুটবলার হওয়ার পথে ৮৫
6,876
প্রতিনিধি, নাটোর
bangladesh
বাংলাদেশ
২৬ আগস্ট ২০১৮, ১৪:৪১
২৬ আগস্ট ২০১৮, ১৬:০৭
নাটোর
0
ব্যবসায়ীকে হয়রানির অভিযোগ, এএসআই ক্লোজ
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1555027
নাটোর সদর থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আবু কালাম আজাদের বিরুদ্ধে মধ্যরাতে বাড়িতে ঢুকে মারপিট, টাকা লুট ও বেআইনিভাবে আটকের অভিযোগ করেছেন এক ব্যবসায়ী। এ ঘটনায় এএসআই আবু কালাম আজাদকে সদর থানা থেকে পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়েছে।ভুক্তভোগীর পরিবারের ভাষ্য, গতকাল শনিবার দিবাগত রাত একটার দিকে এএসআই আবু কালাম আজাদসহ তিন পুলিশ স্থানীয় এক ইউপি সদস্যকে সঙ্গে নিয়ে সদর উপজেলার ছাতনী শিবপুর গ্রামের মরিচ ব্যবসায়ী আইয়ুব আলীর বাড়িতে ঢোকেন। বাড়িতে মাদক আছে—এমন অভিযোগ তুলে বাড়িঘর তছনছ করা হয়। বাড়ির লোকজনকে মারপিট করে আইয়ুব আলীর ছেলে শফিকুল ইসলামকে আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ।আইয়ুব আলীর স্ত্রী মাহফুজা বেগমের ভাষ্য, তাঁদের ঘরে গরু বিক্রির সাত লাখ টাকা ছিল। পুলিশ জোর করে ওই টাকা নিয়ে যায়। যাওয়ার সময় তারা বাড়ির বাইরে থেকে ফটকে ছিটকিনি দিয়ে যায়। মুঠোফোনে খবর দিলে প্রতিবেশীরা একত্র হয়ে পুলিশকে অবরুদ্ধ করে। খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। তারা অবরুদ্ধ পুলিশ ও ছাতনী ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য এমরান আলীকে উদ্ধার করে সদর থানায় নিয়ে যায়। এমরান ইউনিয়ন যুব লীগের সাধারণ সম্পাদক।পুলিশি হয়রানির প্রতিবাদে গ্রামের শত শত লোক আজ রোববার সকালে সদর থানায় এসে বিচার দাবি করেন। পরে এএসআই আবু কালাম আজাদকে সদর থানা থেকে পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়।আবু কালাম আজাদ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তিনি ইউপি সদস্য এমরান আলীর দেওয়া মাদকসংক্রান্ত তথ্য যাচাই করার জন্য আইয়ুব আলীর বাড়িতে গিয়েছিলেন। তবে কাউকে হয়রানি করেননি। টাকাপয়সাও লুট করেননি।নাটোর সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত বলেন, এএসআই দায়িত্বরত অবস্থায় মাদক জব্দ করার জন্য ওই ব্যবসায়ীর বাড়িতে গিয়েছিলেন। তবে তথ্যদাতার সঙ্গে বাড়ির মালিকের পূর্ববিরোধ থাকায় পুলিশকে ভুল বোঝানো হয়েছিল। তবুও এএসআই আবু কালাম আজাদকে ক্লোজ করা হয়েছে।
374,745
-1
sports
খেলা
২৪ জুলাই ২০১৬, ০২:১৭
২৪ জুলাই ২০১৬, ০২:১৮
খেলা,আন্তর্জাতিক ক্রিকেট
0
দুঃস্বপ্ন ভুলতে পারছেন কোহলি
http://www.prothom-alo.com/sports/article/923719
পাঁচ বছর আগের টেস্ট অভিষেকের দুঃস্বপ্ন ভুলতে নিশ্চয়ই অনেক দিন লেগেছে বিরাট কোহলির। যদিও ওয়ানডে অভিষেক তার আরও তিন বছর আগে, তত দিনে পাঁচটি সেঞ্চুরিও হয়ে গেছে। কিন্তু সাদা পোশাকে এসেই যেন খেই হারিয়ে ফেললেন! ওয়েস্ট ইন্ডিজে অভিষেক সিরিজে চার টেস্টে গড় ছিল মাত্র ১৫, সর্বোচ্চ ৬৩। অ্যান্টিগায় পরশুর ডাবল সেঞ্চুরিটা তাই শুধু তাঁর সর্বোচ্চ ইনিংস বলেই নয়, অনেক দিন বিঁধে থাকা একটা কাঁটা ঝেড়ে ফেলার কারণেও কোহলির কাছে আনন্দের উপলক্ষ।সেদিনের আনকোরা কোহলি এখন অনেক পরিণত, আগের চেয়েও বেশি ধারাবাহিক। ক্যারিয়ারের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরির পর টেস্ট অভিষেকের দুঃস্মৃতি মুছে ফেলাটাই বেশি তৃপ্তি দিচ্ছে ভারত অধিনায়ককে, ‘হ্যাঁ, আমার খুব ভালো লাগছে। এখানেই আমার অভিষেক হয়েছিল, কিন্তু সফরটা আমার জন্য খুব স্মরণীয় ছিল না। আগেরবার সুযোগ পেয়েও বড় কিছু করতে পারিনি, সে জন্যই এবারের ডাবল সেঞ্চুরি আমাকে বেশি তৃপ্তি দিচ্ছে।’বর্তমান সময়ের সেরাদের তালিকায় ওপরের দিকেই কোহলির নাম। কিন্তু টেস্টে বড় স্কোর হচ্ছিল না। তার চেয়েও অবিশ্বাস্য, প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটেই কোহলির কোনো ডাবল সেঞ্চুরি ছিল না! সেই অচলায়তন ভাঙতে পারাটাও তাঁর জন্য একটা স্বস্তি, ‘আমি জানি, আমার বড় স্কোর করার সামর্থ্য আছে। এটা প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে আমার প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি। অবশ্যই খুব ভালো লাগছে। টেস্ট ক্রিকেটই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সংস্করণ। এখানে ভালো করার সন্তুষ্টিটা অন্য যেকোনো কিছুর চেয়ে বেশি।’অ্যান্টিগা টেস্টে কোহলির ব্যাটে ভর করেই ভারত চড়েছে ৫৬৬ রানের পাহাড়ে। টপ অর্ডারে শিখর ধাওয়ান ছাড়া বাকিরা কোহলিকে সেভাবে সঙ্গ দিতে পারেননি। চ্যালেঞ্জটা তবু হারেননি ভারত অধিনায়ক, ‘পাঁচ ব্যাটসম্যান নিয়ে খেললে আপনার ওপর বাড়তি চাপ থাকবেই। সেটাই আমি চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছি। চাপটা আমি নিজেই নিয়েছি। আর অধিনায়ক হিসেবে খেলোয়াড়দের কাছ থেকে এমন কিছু চাইব না, যেটা নিজে করতে পারব না।’তবে কোহলি সঙ্গ পেয়েছেন এমন একজনের, যাঁর মূল কাজ আসলে বল করা। রবিচন্দ্রন অশ্বিনও যে সেঞ্চুরি পেয়েছেন পরশু! ব্যাটিং অর্ডারে একটু ওপরে এসে ছয়ে ব্যাট করেছেন ভারতের এই স্পিনার। এখন তো তিনি চাচ্ছেন এই জায়গাতেই নিয়মিত ব্যাট করতে, ‘ব্যাটিং অর্ডারে ওপরে উঠে আসতে পেরে আসলেই ভালো লেগেছে। আমি ব্যাটিং খুবই উপভোগ করি, কিন্তু ছয়ে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য আমাকে অনেক কিছুই করতে হবে।’৫৬৬ রানের পর ভারতীয় বোলাররাও শুরুতেই ধাক্কা দিতে পেরেছেন ক্যারিবীয় ইনিংসে। ১৬ রান করে ফিরে গেছেন ওপেনার রাজেন্দ্র চন্দ্রিকা। ৩১ রানে ১ উইকেট নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে যেতে হবে আরও অনেক দূর। এনডিটিভি।সর্বশেষ৭২ ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান ১৫৭, উইকেট পড়েছে ৭টি। ভারতের চেয়ে এখনো ৪০৯ রানে পিছিয়ে আছে ক্যারিবীয়রা। ফলোঅন এড়াতে করতে হবে আরও ২১০। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে একমাত্র চেষ্টা করেছেন ওপেনার ক্রেইগ ব্রাফেট। তিনি আউট হয়ে গেছেন ৭৪ রানে। অনেক দিন পর আন্তর্জাতিক ফেরাটা দারুণ উপভোগ করছেন মোহাম্মদ শামি। ৪১ রানে ৪ উইকেট পেয়েছেন এই পেসার।
242,820
নিজস্ব প্রতিবেদক
bangladesh
বাংলাদেশ
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ১৫:৫১
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ১৬:১৮
আইন ও বিচার
0
ফিরোজ রশীদের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা চলতে বাধা নেই
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1075493
ঢাকা-৬ আসনের সাংসদ কাজী ফিরোজ রশীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে করা রিট আবেদনটি খারিজ হয়েছে। বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তী সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আবেদনটি উপস্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দিয়েছেন। এর ফলে এই মামলার তদন্ত চলতে আইনগত কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন দুদকের কৌঁসুলি।গত বছরের ৫ এপ্রিল প্লট কেনায় অনিয়মের অভিযোগে দুদক ধানমন্ডি থানায় মামলাটি করে। এই মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ফিরোজ রশীদ হাইকোর্টে রিটটি করেন।আদালতে কাজী ফিরোজ রশীদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আবদুল বাসেত মজুমদার ও শেখ মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম।দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সৈয়দ মামুন মাহবুব। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, প্লট কেনায় জালিয়াতির অভিযোগে দুদক মামলাটি করে। এর বৈধতা নিয়ে ফিরোজ রশীদের করা রিটটি উপস্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। ফলে তদন্ত চলতে আইনগত কোনো বাধা নেই।
290,704
নড়াইল প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
১২ আগস্ট ২০১৪, ০১:৩৮
১২ আগস্ট ২০১৪, ০১:৩৮
নড়াইল,খুলনা বিভাগ,বিশাল বাংলা
0
সাত দফা দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/288913
নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজে সব বিষয়ে স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর চালুসহ সাত দফা দাবিতে গতকাল সোমবার কলেজ ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে ছাত্রমৈত্রী। কলেজের প্রশাসনিক ভবনের সামনে সমাবেশে বক্তব্য দেন সংগঠনের কলেজ শাখার আহ্বায়ক মলয় রায়, জেলা সভাপতি রসিকুল ইসলাম, যুবমৈত্রী নেতা করিমুল ইসলাম, অমিয় রাজ, কলেজ শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক অনিমেষ, শাহাদৎ হোসেন, প্রতীক বিশ্বাস, রুবেল প্রমুখ। অন্য দাবির মধ্যে রয়েছে শিক্ষকস্বল্পতা নিরসন, শিক্ষার্থীদের জন্য পরিবহনসুবিধা, নতুন ছাত্রাবাস নির্মাণ, বিজ্ঞানাগার, আধুনিক উপকরণসহ ব্যায়ামাগার, কম্পিউটার ব্যবহারের সুবিধা, পাঠাগার নির্মাণসহ সাংস্কৃতিক বলয় গড়ে তোলা।
84,367
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
education
শিক্ষা
১৩ আগস্ট ২০১৪, ১৭:২৩
১৩ আগস্ট ২০১৪, ১৭:২৫
-1
0
রাজশাহীতে পাস বেড়েছে, জিপিএ-৫ কমেছে
http://www.prothom-alo.com/education/article/290068
রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় পাসের হার বাড়লেও কমেছে জিপিএ-৫। পাসের হারে ছেলেদের চেয়ে এবারও মেয়েরা এগিয়ে রয়েছেন। তবে জিপিএ-৫ পাওয়ার দিক দিয়ে গতবারের মতো এবারও ছেলেরা এগিয়ে রয়েছেন।রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে এবার ৬৬১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ১ লাখ ১১ হাজার ৬৮০ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেন। পাস করেছেন ৮৭ হাজার ৭২০ জন। পাসের হার ৭৮ দশমিক ৫৫ শতাংশ। গতবার এই হার ছিল ৭৭ দশমিক ৬৯ শতাংশ। এবার পাসের হার ছেলেদের ৭৬ দশমিক ২৭ ও মেয়েদের ৮১ দশমিক ১৮ শতাংশ। গতবার ছেলেদের পাসের হার ছিল ৭৫ দশমিক ০৫ আর মেয়েদের ছিল ৮০ দশমিক ৭২ শতাংশ।এবার রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে মোট জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৭ হাজার ৬৪১ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে ছেলে ৩ হাজার ৯৮৩ ও মেয়ে ৩ হাজার ৬৫৮ জন। গতবার জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন ৭ হাজার ৬৬৬ জন। এর মধ্যে ছেলে ৩ হাজার ৮৫০ আর মেয়ে ৩ হাজার ৮১৬ জন।রাজশাহী কলেজের বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে পাস করেছেন খোন্দকার মো. আবু তালহা। রাজশাহী বোর্ডের পাসের হার বাড়ার ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা আগের চেয়ে বেশি ক্লাসমুখী হয়েছে। অভিভাবকদের সচেতনতা বাড়ছে। শিক্ষকেরাও এখন ভালো ফলাফলের আশায় বিভিন্ন উদ্যোগ নিচ্ছেন। একাডেমিক ক্যালেন্ডার করছেন।’ তাঁর ধারণা, এসব কারণেই পাসের হার বাড়ছে।রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে ২০০৮ থেকে এ পর্যন্ত এক নাগাড়ে পাসের হারে মেয়েরা এগিয়ে আছেন। রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ নূর জাহান বেগম বলেন, ঘরের বাইরের পরিবেশের সঙ্গে ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা অপেক্ষাকৃত কম জড়ায়। এ কারণে বাইরের বিভিন্নমুখী ঝামেলা থেকে মেয়েরা অনেকটা মুক্ত থাকে। পড়াশোনায় বেশি মনোযোগ দিতে পারে। তাঁর ধারণা, এতে করে পাসের হারে মেয়েরা একটু এগিয়ে থাকছেন।এবারের রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের ফলাফল নিয়ে শিক্ষাবিদ তসিকুল ইসলাম রাজা বলেন, পাসের হারও বাড়ছে, কিন্তু শিক্ষার গুণগত মান বাড়ছে না। সব বিষয়ে জিপিএ-৫ পেয়েও আমাদের শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারছে না। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় টিকতে পারছে না। আপাতত এই ফলাফলে খুশি হওয়া গেলেও আশাব্যঞ্জক বলা যাচ্ছে না।এ ব্যাপারে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক সামসুল কালাম আজাদ বলেন, জিপিএ-৫-এর সংখ্যা কমেছে সত্য, কিন্তু পাসের হার অল্প হলেও বেড়েছে। তিনি বলেন, নতুন নতুন পদ্ধতির সঙ্গে শিক্ষার্থীরা এখনো হয়তো ঠিকমতো খাপ খাওয়াতে পারছে না। এ জন্যই জিপিএ-৫-এর সংখ্যা হয়তো একটু কমেছে। তবে তাঁরা শিক্ষার গুণগত মান বাড়ানোর জন্য পাঠদানপ্রক্রিয়া আরও ইতিবাচক করতে কলেজ কর্তৃপক্ষকে পরামর্শ দেবেন এবং তদারকি বাড়াবেন বলে তিনি জানালেন।
84,542
কলকাতা প্রতিনিধি
international
আন্তর্জাতিক
২১ ডিসেম্বর ২০১৭, ১৪:০৮
২১ ডিসেম্বর ২০১৭, ১৪:০৯
ভারত
null
যোগী আদিত্যনাথের রাজ্যে গরু শিল্প
http://www.prothom-alo.com/international/article/1391431
ভারতের বিজেপি শাসিত উত্তর প্রদেশের যোগী আদিত্যনাথের রাজ্যে এবার গড়া হচ্ছে গরু শিল্প। গত মঙ্গলবার এই শিল্প গড়ার জন্য নির্দেশিকাও জারি করেছে উত্তর প্রদেশ সরকার। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, রাজ্যের ৭৫টি জেলায় গড়া হবে গরু সুরক্ষা সমিতি ।এই সমিতির সভাপতি হবেন জেলা প্রশাসক আর সহসভাপতি হবেন পুলিশ সুপার ও জেলার উন্নয়ন কর্মকর্তা। সদস্যসচিব থাকবেন জেলার পশুপালন অধিকর্তা। এই কমিটির কাজ হবে গরুর নিরাপত্তাবিধানসহ রাজ্যের গরু শিল্পকে উন্নত করা।এই গরু শিল্প থেকে দুধ উৎপাদনের পাশাপাশি গো-মূত্র ও গোবর থেকে তৈরি করা হবে বায়োগ্যাস, কম্পোজড সার, সাবান, ধূপকাঠি, মশার কয়েল, ফিনাইলসহ নানাবিধ পণ্য। সেই লক্ষ্যে ইতিমধ্যে কাজও শুরু করেছে জেলা প্রশাসন।
348,712
-1
sports
খেলা
২১ মার্চ ২০১৭, ০১:৪৮
২১ মার্চ ২০১৭, ০১:৫১
খেলা,টেনিস
0
রূপকথা লিখেই যাচ্ছেন ফেদেরার
http://www.prothom-alo.com/sports/article/1114909
প্রথমেই নির্জলা সংবাদটা বলে ফেলা যাক। গতকাল স্বদেশি স্তান ভাভরিঙ্কাকে ৬-৪, ৭-৫ গেমে হারিয়ে পঞ্চমবারের মতো ইন্ডিয়ান ওয়েলস জিতেছেন রজার ফেদেরার। ব্যস, এটুকুতেই শেষ হয়ে যেতে পারত এ খবরটি।বিজয়ীর নামটাই ঝামেলা বাধিয়ে দিয়েছে। চোটে পড়ে ২০১৬ সালের শেষ অর্ধেকটা কাটিয়েছেন কোর্টের বাইরে। বয়স ৩৫ হয়ে গেছে, ফেদেরারের ক্যারিয়ারের বিদায়ঘণ্টা বাজিয়ে দিয়েছিলেন অনেকেই। ভেবেছিলেন এবার শুধু অবসর নেওয়াটাই বাকি। ২০১২ সালের পর একটা গ্র্যান্ড স্লামও জেতা হয়নি, সর্বকালের সেরা টেনিস খেলোয়াড়ের শেষ দেখে ফেলেছিলেন প্রায় সবাই। ভাগ্যিস ফেদেরার নিজে সেটা দেখেননি, কিংবা দেখলেও সেটা না মেনে শুধু মনের জোরেই ফিরে এসেছেন! বছরের শুরুতেই অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রাফায়েল নাদালকে হারিয়ে জিতেছেন ক্যারিয়ারের ১৮তম গ্র্যান্ড স্লাম। সে তুলনায় কালকের জয় তো মামুলি। ক্যারিয়ারের ৯০টি শিরোপার একটিই তো! কিন্তু ফেদেরার জানাচ্ছেন তাঁর কাছে এ জয়টা কত বড়, ‘এর চেয়ে বেশি খুশি হওয়া বোধ হয় সম্ভব না! বছরটার শুরু দারুণ হলো। গত বছর কোনো শিরোপা পাইনি, ব্রিসবেন ছাড়া কোনো ফাইনালেই উঠিনি। এই যে পরিবর্তন, এটা নাটকীয়।’এ শিরোপাটা আলাদা করেই রাখছেন ফেদেরার। বছরের প্রথম গ্র্যান্ড স্লাম জয়টাকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা যাঁরা ভাবছিলেন; যাঁদের মনে হচ্ছিল, এটা আসলে প্রদীপ নিভে যাওয়ার আগে ক্ষণিকের জন্য জ্বলে ওঠা; ফেদেরার তাঁদের জবাব দিয়ে দিলেন। পুরো প্রতিযোগিতায় কোনো সেটে হারেননি। শেষ ষোলোয় দেখা হয়েছিল নাদালের সঙ্গে, সরাসরি সেটে (৬-২, ৬-৩) উড়িয়ে দিয়েছেন তাঁকে। এমন পারফরম্যান্সে নিজেও বিস্মিত ফেদেরার, ‘এটা ছিল আরেকটা রূপকথার সপ্তাহ। অস্ট্রেলিয়ায় যতটা অবাক হয়েছিলাম, ততটা হইনি। তবু এখানে আবারও জেতা, এই খেলোয়াড়দের হারানোটা আমার জন্য অনেক বড় চমক।’এ জয়েই র্যাঙ্কিংয়ের ৬ নম্বরে চলে এসেছেন, এতটা আশা করেননি নিজেও, ‘উইম্বলডনে খেলার আগে আটে পৌঁছানোই ছিল মূল লক্ষ্য।’ খেলায়ও পাওয়া যাচ্ছে পুরোনো সেই ফেদেরারের আভাস, দেখা যাচ্ছে সেসব মায়াবী ব্যাকহ্যান্ড। অ্যান্ডি মারে ও নোভাক জোকোভিচকে যেন একটা সতর্কবাণীও জানিয়ে রাখলেন। যখনই মনে হচ্ছিল, টেনিসের রাজত্বটা এখন এ দুজনের, তখনই গা-ঝাড়া দিয়ে উঠেছেন ফেদেরার। পরাজয়ের পর ভাভরিঙ্কার আবেগময় প্রশংসাকেও তাই বাড়াবাড়ি মনে হয় না, ‘তোমার কাছে বেশ কয়েকবার হেরেছি, সেগুলো মেনে নেওয়াও কঠিন ছিল। তবু অস্ট্রেলিয়ার ফাইনালে আমিই ছিলাম তোমার সবচেয়ে বড় ভক্ত।’ও হ্যাঁ, অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে সেমিফাইনালে ভাভরিঙ্কাকে হারিয়েই ফাইনালে গিয়েছিলেন ফেদেরার! এএফপি, রয়টার্স।
304,916
ইনাম আহমদ চৌধুরী
opinion
মতামত
০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৩, ০০:১৮
০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৩, ১২:০৬
মতামত,ইনাম আহমদ চৌধুরী,রাজনীতি,লেখকের কলাম
null
আওয়ামী লীগের এই দিবাস্বপ্ন টুটে যাবে
http://www.prothom-alo.com/opinion/article/44377
সংবিধান অনুযায়ী ২৪ জানুয়ারির মধ্যে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে—প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষণার জবাবে বিরোধী দল বলেছে, সমঝোতার পথ রুদ্ধ হয়ে গেল। এই প্রেক্ষাপটে চলমান রাজনীতি নিয়ে দুই বিশেষজ্ঞের মত প্রকাশ করা হলো।মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বাজিয়ে দিলেন রণ-তূর্য। কয়েক দিন আগে তাঁর ‘বিনা যুদ্ধে নাহি দিব সূচ্যগ্র মেদিনী’-জাতীয় ঘোষণাকে বিশ্লেষকেরা ধারণা করেছিলেন, সম্ভাব্য আলোচনা বা সংলাপের প্রারম্ভে প্রস্তুতিমূলকভাবে নিজ ভিত শক্ত করে প্রদর্শিত করার মনোবাসনার অভিব্যক্তি। হা-হতোস্মি! সব আশা চূর্ণ করে, সব দ্বার রুদ্ধ করে আচম্বিতে একি ঘোষণা! যেসব সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করা হয়েছে, তার মোদ্দা কথা হচ্ছে, সংসদের জীবদ্দশায়ই মন্ত্রিসভা গদিনশিন অবস্থায়ই নির্বাচন হবে, অর্থাৎ ২৪ জানুয়ারির মধ্যেই। সরকার থাকবে বহাল তবিয়তে, তবে মন্ত্রিসভা কোনো ‘নীতিনির্ধারণী’ সিদ্ধান্ত নেবে না। নীতিনির্ধারণী যে কী, তা কে চিহ্নিত করবে? এ প্রসঙ্গে এ কথাটি আসলেও আদতে মূল্যহীন। সম্ভবত সিরিয়া যুদ্ধ, মিসরের সংঘর্ষ বা মধ্যপ্রাচ্য সংকট বা সীমান্তে বাংলাদেশি হত্যা ও তিস্তার পানি বণ্টন, সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়ন, টিপাইমুখ বাঁধ বা মানবাধিকার রক্ষণ—এসব গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপারে কোনো নীতিনির্ধারণী আলোচনা বা সিদ্ধান্ত সরকার নেবে না। নেবে শুধু নির্বাহী সিদ্ধান্ত, যার অধিকাংশ স্বভাবতই এবং প্রয়োজন অনুসারেই হবে সাধারণ নির্বাচনসংক্রান্ত। এক দৈনিকের শীর্ষ খবর অনুসারে ‘প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বেই নির্বাহী বিভাগ’। আর বলা বাহুল্য, সরকারের নির্বাহী কর্মকর্তারাই সাধারণ নির্বাচন মুখ্যত পরিচালনা করবেন। আর দন্তহীন আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন তো থাকছেই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সচিবদের উদ্দেশে আরও বলেছেন, ‘সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে। আর এ নির্বাচনে জনগণের ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় আসার ব্যবস্থা করতে হবে। এ জন্য সবাইকে আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে।’ অর্থাৎ সচিবদের এবং নির্বাহী কর্মকর্তাদের যে ‘ক্ষমতায় আসার ব্যবস্থা করতে হবে’ এবং তাও ‘আন্তরিকভাবে’—এই শব্দগুলোর অন্তর্নিহিত অর্থ সহজেই অনুমেয়।সরকার অন্য কোনো দলের বা মতামতের কোনো তোয়াক্কাই করছে না। এমনকি সরকারে আওয়ামী লীগের জোটভুক্ত জাতীয় পার্টির সঙ্গেও কোনো আলোচনা যে হয়নি, তাও পরিষ্কার। দলটি ঘোষণা করেছে, ‘নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে সমঝোতা না হলে এবং সবার কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন না হলে পরিস্থিতি ভয়াবহ হতে পারে।’ সমঝোতায় পৌঁছার অপরিহার্যতার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন দলের মহাসচিব।এই একক ঘোষণার আগে মহাজোটের অংশীদারদের সঙ্গেও হয়নি কোনো আলোচনা। আওয়ামী লীগ সরকার সম্পূর্ণ এককভাবে নির্বাচন সম্পর্কে আনুষঙ্গিক সব সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং তা বাস্তবায়নের কঠোর-কুটিল-মহাসাংঘর্ষিক পথে ধাবিত হচ্ছে।আমরা যদি অন্যান্য ঘোষিত সিদ্ধান্ত এবং নির্দেশমালা বিশ্লেষণ করি তা হলে দেখি, অন্তর্বর্তী শব্দ ব্যবহার এ প্রসঙ্গে নিরর্থক। পুরো সরকারই চলমান থাকছে—পুরোদমে তাদের ক্ষমতা, দায়িত্ব, কর্তৃত্ব, প্রটোকল—সব নিয়েই থাকছে। মন্ত্রী ও সাংসদেরা তাঁদের সব সুযোগ-সুবিধা, ক্ষমতা ও খবরদারিতে যে শুধু অটুট রাখছেন তা নয়, তা ব্যবহারও করবেন—সরকারের সব প্রজেক্ট ও পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করতে থাকবেন; শুধু সংসদের অধিবেশন বসবে না। সে তো আরও মজা। অর্থাৎ সাংসদেরা নিজ নিজ এলাকায় নির্বাচনী প্রচারকর্ম এবং উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন-সংক্রান্ত নির্বাচনকালীন অনুকূল কর্মতৎপরতা অব্যাহত রাখছেন। বলিহারি, ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’।তবে তার প্রয়োজনই বা কী? ফিল্ডে তো অন্য কোনো দলই থাকছে না।বিএনপির মুখপাত্র ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যথার্থই বলেছেন, ‘সরকার আলোচনার মাধ্যমে সমাধানে পৌঁছানোর সব পথ রুদ্ধ করে দিয়েছে। সমঝোতার আর কোনো পথ খোলা থাকল না।’ আরও বলেছেন, ‘সরকার চাইছে বিএনপিকে বাদ দিয়ে একদলীয় নির্বাচন করতে। তারা নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে জনমতের বাইরে গিয়ে একরোখা অবস্থান নিচ্ছে।’শুধু বিএনপিই নয়, বাংলাদেশের জনগণই একদলীয় নির্বাচনের বিপক্ষে এবং অন্য সব দলই এর বিরোধিতা করছে। গণতন্ত্রকামী মানুষের এই ঘোষিত বিরোধিতার বিপরীতে আওয়ামী সরকার একক সিদ্ধান্ত নিয়ে মনে হয় সম্মুখ সমরে অবতীর্ণ হচ্ছে জনগণেরই বিরুদ্ধে। আন্তর্জাতিক মতামত উপেক্ষা করে সরকার তাদের স্বৈরাচারী সিদ্ধান্ত বলপূর্বক চাপিয়ে দিতে চাইছে। বোঝাই যাচ্ছে, এতকাল যে তাঁরা সমঝোতা, সংলাপ বা আলোচনার আভাস বা কথা বলেছিলেন, সবই মেকি, সবই ভাঁওতাবাজি। আর এই সিদ্ধান্তগুলো যে ১২ সেপ্টেম্বরের আহূত সংসদ অধিবেশনের আগেই করা হলো, সেটাও বিশেষ তাৎপর্যমূলক। অর্থাৎ সংসদ নেতা আগেই জানিয়ে দিলেন, নৈবচ নৈবচ। খামোখা আর কোনো আলোচনা বা প্রস্তাবের কথা এখন চিন্তা করাই বাতুলতা।বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আগেই দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলেছেন, ‘সংলাপ, সমঝোতায় বিএনপি রাজি। তবে গ্রহণযোগ্য কোনো নির্বাচনের ব্যবস্থা না হলে জনগণ তা কঠোর সংগ্রামের ভেতর দিয়েই আদায় করবে।’ বাংলাদেশের সংগ্রামী জনতা আজ গণতন্ত্রের এই চরম পরীক্ষার ক্ষণে ত্যাগ ও তিতিক্ষার জন্যই প্রস্তুত।ফাঁকা মাঠে ভাড়াটে গোল দিয়ে ভাড়াটে রেফারি দিয়ে বিজয় ঘোষণা করিয়ে বাংলাদেশের শাসনভার পরিচালনা করবেন, আওয়ামী লীগের এই দিবাস্বপ্ন কীভাবে টুটিয়ে দেওয়া যায়, তা বাংলার জনগণের জানা আছে। শুধু দুঃখ লাগে, শঙ্কা জাগে যে এই সাংঘর্ষিক পরিস্থিতি ও প্রক্রিয়ায় শান্তিপ্রিয় নিরীহ জনগণের কী অশেষ দুর্গতি হবে, আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশের হবে কী অশেষ ক্ষতি! গদি আঁকড়ে থাকার অদম্য মোহে ক্ষমতাসীন দল কি তা ভেবেই দেখল না?ইনাম আহমদ চৌধুরী: উপদেষ্টা, বিএনপির চেয়ারপারসন।আরও পড়ুন.... বিএনপি শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে আসবে
14,254
পাবনা অফিস
bangladesh
বাংলাদেশ
০২ মার্চ ২০১৭, ০১:২২
০২ মার্চ ২০১৭, ০১:২৩
পাবনা,রাজশাহী বিভাগ,বিশাল বাংলা,অপরাধ
0
ভাঙ্গুড়ায় এক ব্যক্তিকে শ্বাস রোধ করে হত্যার অভিযোগ
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1094449
পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার সুজাপাড়া গ্রাম থেকে গতকাল বুধবার মব্বেল হোসেন প্রামাণিক (৫০) নামের এক ব্যক্তির ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাঁর বাড়ি উপজেলার জগাতলা গ্রামে।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গ্রামের একটি আমগাছের সঙ্গে মাফলার দিয়ে ফাঁস লাগানো অবস্থায় লাশটি ঝুলছিল। সকাল সাতটার দিকে স্থানীয় লোকজন তা দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন। নিহত ব্যক্তির স্ত্রী রাজিয়া খাতুন বলেন, সম্প্রতি তাঁদের ছেলে মানিক হোসেনের বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তাঁদের সঙ্গে বিরোধ চলছিল। ১ লাখ ২০ হাজার টাকা দেওয়ার শর্তে বিষয়টির মীমাংসা হয়। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মব্বেল হোসেন ওই টাকা দিতে বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন।রাজিয়া খাতুনের দাবি, রাতে কেউ তাঁকে হত্যা করেছে। এরপর আত্মহত্যা বলে চালানোর জন্য গাছে লাশ ঝুলিয়ে রেখেছে।
298,740
সজল চৌধুরী
opinion
মতামত
২৫ জুন ২০১৮, ১৩:৩১
২৫ জুন ২০১৮, ১৩:৩৩
শিক্ষা
null
বিদেশমুখী শিক্ষক ও ফিরে না আসার ‘দেশপ্রেম’
http://www.prothom-alo.com/opinion/article/1517561
ফেসবুক থেকে শুরু করে বিভিন্ন গণমাধ্যমে আমরা অনেকেই নিজেদের বিশ্ববিদ্যালয় এবং শিক্ষাপদ্ধতিকে দোষারোপ করি এই বলে যে বিশ্ব তালিকায় আমাদের নাম নেই কেন? দু-একটি থাকলেও এতটা পেছনে কেন? কিংবা নিজেদের স্ট্যাটাসে অনেক বড় বড় করে লিখি, ‘মেধাবীরা এ দেশে থাকবে কেন? আমাদের দেশে মেধার কোনো দাম নেই, কেন দেশে ফিরব? গবেষণার সুযোগ নেই, পরিবেশ নেই!’ ইত্যাদি হাজার রকম অভিযোগ। এমনকি শিক্ষা ছুটি শেষ হয়ে গিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় তাঁদের দেশে ফিরে কর্মক্ষেত্রে যোগদান করার জন্য পত্রমারফতে আদেশ কিংবা অনুরোধ করা সত্ত্বেও তাঁরা আবার ছুটি বাড়ানোর আবেদন চালিয়েই যাচ্ছেন।বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা এখনো আমাদের দেশে একজন মেধাবীর পছন্দের প্রথম সারিতেই আছে বলে ধরা যায়। এর ব্যতিক্রমও দেখা যায় বৈকি! কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত যেকোনো ছাত্রছাত্রী মেধাতালিকায় স্থান পাওয়ার সুবাদে প্রথমেই ইচ্ছা পোষণ করেন নিজ বিভাগে শিক্ষকতা করার জন্য। পরিবারও খুশি, কারণ পেশাগত দিক থেকে বর্তমানে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় শিক্ষকতার সঙ্গে সঙ্গে গবেষণা করার সুযোগ, বেতনকাঠামো, আর সেই সঙ্গে সামাজিক সম্মান তো আছেই। এ ছাড়া আমাদের দেশে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষকেরা ইচ্ছা করলেই বিভিন্নভাবে আনুষঙ্গিক অন্যান্য কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকতে পারেন। কিছু ক্ষেত্রে এর যে ব্যতিক্রম কিছু হয় না, সে কথা বলার অপেক্ষা রাখে না। আমাদের দেশে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের অধিকাংশ শিক্ষক উচ্চশিক্ষার জন্য দেশের বাইরে সরকারি কিংবা বেসরকারি বৃত্তি নিয়ে পড়তে যান, যদিও সেটি সাধারণত নিজ চেষ্টাই হয়ে থাকে। সে ক্ষেত্রে সময়সীমা থাকে দুই থেকে পাঁচ বছর পর্যন্ত। আর যে-কেউ সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা শুরুর প্রায় দুই বছর পরেই চাকরিতে বহাল থেকে মূল বেতন স্কেল সহকারে শিক্ষা ছুটি ভোগ করতে পারেন। এমনকি নির্ধারিত ছুটি শেষ হয়ে গেলেও ডিগ্রি অর্জনের জন্য ছুটি বর্ধিত করার আবেদন করলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করে সামগ্রিক উন্নতির জন্য তাঁদের বর্ধিত ছুটির আবেদনকে মঞ্জুর করে থাকে। তবে সে ক্ষেত্রে শিক্ষককে ছুটিতে যাওয়ার সময়ে নিয়ম অনুসারে বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে কিছু চুক্তিপত্র সম্পাদন করতে হয়। কারণ, শিক্ষা ছুটির সময় বিশ্ববিদ্যালয় তাঁর বর্তমান পদটি ধরে রাখবে এবং উচ্চশিক্ষা শেষ করে তিনি সরাসরি তাঁর বিশ্ববিদ্যালয়ে আবার সেই পদে যোগদান করতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে তাঁদের আগের সম্পাদিত চুক্তির শর্ত শিথিল হয়ে যাবে। আর কেউ যদি উচ্চশিক্ষা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান না করেন, তবে তাঁকে নিয়ম অনুযায়ী চুক্তিপত্রে স্বাক্ষরিত শর্ত পূরণ করতে হয়। অন্যথায়, বিশ্ববিদ্যালয় আইনের দ্বারস্থ হতে বাধ্য। তবে আমাদের দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ভেদে এসব নিয়মকানুনের কিছুটা পার্থক্য রয়েছে বৈকি!বর্তমানে প্রায়ই দেখা যায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক সংবাদমাধ্যমে আইনি নোটিশ। কারণ, অনেকেই বিদেশে শিক্ষাছুটি থেকে ফিরছেন না আবার চাকরিও ছাড়ছেন না। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তাঁরা মানছেন না বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক দেওয়া চুক্তিপত্রের নিয়মনীতি। অথচ বিদেশের মাটিতে বসে পরম আয়েশে একের পর এক প্রদর্শন করে চলেছেন দেশের প্রতি তাঁদের ‘উদার-অকৃত্রিম ভালোবাসা ও মমত্ববোধ’।আমাদের দেশে ঘুণে ধরা শিক্ষার চলনবলন। সুযোগ থাকা সত্ত্বেও নিজেদের সুবিধার জন্য তাঁরা একদিকে বঞ্চিত করছেন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে আর সামগ্রিক অর্থে দেশকে। কারণ, আজ যাঁরা দেশের বাইরে যাচ্ছেন উচ্চশিক্ষার জন্য দেশ থেকে ছুটি নিয়ে, বছরের পর বছর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ধরে রাখছে তাঁদের সংরক্ষিত পদটি। যখন শিক্ষা ছুটি শেষে তাঁরা দেশে ফিরছেন না কিংবা দীর্ঘায়িত করছেন ফেরার সময়, আবার নিয়মানুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়কে তাঁর প্রাপ্যতা বুঝিয়েও দিচ্ছে না, তখন শিক্ষক হিসেবে এ দায়ভার কে নেবে? এমতাবস্থায় আমরা কি আশা করতে পারি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর স্থান বিশ্ব র‍্যাঙ্কিংয়ে অনেক ওপরের দিকে আসবে? শিক্ষার মান কি উন্নত হবে নতুন নতুন গবেষণায় আর উদ্ভাবনী শক্তিতে? উচ্চশিক্ষার বর্তমান অবস্থার জন্য আমরা কি কোনো অংশেই দায়ী না? নাকি সব দোষ ‘নন্দ ঘোষ’ বলেই উদ্ধার! এগুলো নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে শক্তভাবে।তা ছাড়া উন্নত দেশের উচ্চশিক্ষা পর্যায়ে প্রভাষক থেকে শুরু করে অধ্যাপক পর্যন্ত প্রায় সব শিক্ষককেই বছর শেষে কর্তৃপক্ষের কাছে তাঁদের গবেষণা, অর্থায়ন এবং বিশ্বব্যাপী শিক্ষা সুযোগ-সমন্বয়ের অনেক তথ্য-উপাত্ত প্রমাণস্বরূপ দেখাতে হয়। আর কেউ এগুলো সঠিক ভাবে দেখাতে না পারলে হয় তাঁকে বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়তে হয় নতুবা তাঁর পদের উন্নতি বাধাগ্রস্ত হয়। তাই সবাইকেই থাকতে হয় শিক্ষাক্ষেত্রে সচল। অথচ আমাদের দেশে যেহেতু এর কোনো জবাবদিহি নেই, তাই চলছি যে যার মতো করে। কারণ, উন্নতির মানদণ্ড শিক্ষা আর গবেষণা না হয়ে যদি হয় ‘অন্য কিছু’, তাহলে কি দরকার গবেষণায় বুঁদ হয়ে বসে থাকা কিংবা গবেষণার অর্থায়নের ব্যবস্থা করা? দিন তো চলেই যাচ্ছে একভাবে—পদের উন্নতি তো হবেই! একবার ভাবুন তো, দেশে একটি চাকরির পদ ধরে রেখে আজ যারা দেশে কিছু করার নেই বলে বাইরে বুলি আওড়ে বেড়াচ্ছেন, যদি তাঁরা দেশে ফিরে আসতেন ঠিক সময় পরেই, শূন্য থেকেই শুরু করতেন, নতুন কিছু শিক্ষায় শিক্ষিত করতেন আগামী প্রজন্মকে, নেই নেই করেও হয়তো কাজ কিছুটা হতো। পরবর্তী প্রজন্ম সেটাকে আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে যেত অবশ্যই। আর এভাবেই তো তিল থেকে তাল হয়। সবকিছুতে এগিয়ে গেলেও সম্ভাবনামূলক উচ্চশিক্ষায় যে আমরা আসলেই বড্ড পিছিয়ে পড়ছি দিন দিন! মনে রাখতে হবে, সম্ভাবনা আমাদেরই তৈরি করতে হবে।সজল চৌধুরী: সহকারী অধ্যাপক, স্থাপত্য বিভাগ, চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম। sajal_c@yahoo.com
368,316
-1
sports
খেলা
২১ ডিসেম্বর ২০১৫, ০১:৪৫
২১ ডিসেম্বর ২০১৫, ০১:৪৭
খেলা,আন্তর্জাতিক ক্রিকেট
0
সেডন পার্কে বোলারদের এক দিন
http://www.prothom-alo.com/sports/article/718159
রোববারের সকালে মাঠভর্তি দর্শক, নীল আকাশ আর ঝলমলে রোদ—সব মিলিয়ে পোস্টকার্ডের ছবির মতো একটা টেস্ট ক্রিকেটের দিন। সেই দিনেই কি না এমন আত্মহননের নেশায় পেয়ে বসল শ্রীলঙ্কান ব্যাটসম্যানদের! আর তাতেই দ্বিতীয় দিন শেষে যে টেস্টের লাগাম তাঁদের হাতে ছিল, সেটা তৃতীয় দিনে নাটকীয়ভাবে চলে গেল নিউজিল্যান্ডের হাতে!নিউজিল্যান্ডের প্রথম ইনিংস মুড়িয়ে দিতে মাত্র একটি উইকেট দরকার ছিল। সেটি শ্রীলঙ্কা পেয়ে গেল কাল মাঠে নামার ৬ বলের মধ্যেই। ৫৫ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামার পর শ্রীলঙ্কা পেল ২০১৫ সালে তাদের সেরা উদ্বোধনী জুটিও। কিন্তু ৭১ রানের সেই জুটির পর হঠাৎই ওই আত্মহননের নেশা! যার ফল, পরের ৬২ রান তুলতেই সবগুলো উইকেট চলে গেল। ১৩.৫ ওভারের সেই ঘূর্ণিঝড়ে হ্যামিল্টন টেস্টও নিল নাটকীয় মোড়। টেস্ট ইতিহাসে শ্রীলঙ্কা এর চেয়ে বাজেভাবে ধসে পড়েছে আর মাত্র দুবার। ১৯৯৪ সালে ক্যান্ডিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে শ্রীলঙ্কার ১০ উইকেট পড়েছিল ৫৯ রানে, ২০০১ সালে কলম্বোতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বিনা উইকেটে ২১ থেকে অলআউট হয়ে গিয়েছিল ৮১ রানে!১৮৯ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে নিউজিল্যান্ডও যে খুব ধৈর্য দেখাতে পেরেছে, তা কিন্তু নয়। লঙ্কান ব্যাটসম্যানদের ছোঁয়া যেন কিছুটা লেগেছে তাঁদের গায়েও। ১৪২ পর্যন্ত আসতেই তাই তাঁদেরও ৫ উইকেট নেই। জয় দিয়ে বছরটা শেষ করার জন্য কিউইদের তৃতীয় দিন শেষে কিউইদের দরকার ছিল আরও ৪৭ রান। শ্রীলঙ্কার সিরিজে সমতা ফেরানোর স্বপ্নে সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে আছেন কেন উইলিয়ামসন। টেস্ট ক্যারিয়ারের ত্রয়োদশ সেঞ্চুরি এবং এক পঞ্জিকাবর্ষে সবচেয়ে বেশি রান করা কিউই ব্যাটসম্যান—দুটি অর্জন থেকেই মাত্র ২২ রান দূরে উইলিয়ামসন। ২০১৪ সালে ১১৬৪ রান করে নিউজিল্যান্ড ব্যাটসম্যানদের মধ্যে টেস্টে এক বছরে সবচেয়ে বেশি রান তোলার রেকর্ডটা ব্রেন্ডন ম্যাককালামের দখলে। অপরাজিত ৭৮ রানের ইনিংসটি দিয়ে উইলিয়ামসন আরও একবার প্রমাণ করলেন, শ্রীলঙ্কা তাঁর দারুণ প্রিয় প্রতিপক্ষ। যাদের বিপক্ষে ১২ ইনিংসে তাঁর ৭৯৭ রান। দুটি সেঞ্চুরি ও ৫টি হাফ সেঞ্চুরিসহ গড় ৮৮.৫৫!এক দিনেই ১৬ উইকেট পড়েছে হ্যামিল্টনে! এমন নয় যে, অসাধারণ কিছু বোলিং হয়েছে। সেডন পার্কের উইকেটের বাউন্সটাই সামলাতে ব্যর্থ ব্যাটসম্যানরা। পুরো টেস্টে একই চিত্র। তিন দিনে যে ৩৫টি উইকেট পড়েছে, এর ৩১টিই কট আউট! ক্রিকইনফো।
185,339
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
bangladesh
বাংলাদেশ
২০ জুন ২০১৫, ১৭:৫২
২০ জুন ২০১৫, ১৭:৫৪
-1
null
পুনর্নিরীক্ষণে ১৯১ পরীক্ষার্থীর ফল পরিবর্তন
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/558082
চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের এসএসসির ফলের পুনর্নিরীক্ষণের ফল আজ শনিবার সকালে প্রকাশ হয়েছে। যাচাই-বাছাইয়ের পর ১৯১ পরীক্ষার্থীর ফল পরিবর্তন হয়েছে। নতুন করে পাস করেছে ৪৪ শিক্ষার্থী। এ নিয়ে এ বোর্ডে মোট পাস করেছে ৭৩ হাজার ২৬৫ জন।চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ মাহবুব হাসান প্রথম আলোকে বলেন, প্রধান পরীক্ষকের দায়িত্বে থাকা চট্টগ্রাম শহরের সরকারি বিদ্যালয়গুলোর অনেক শিক্ষক যথাযথ দায়িত্ব পালন করেননি। অন্যান্য বারের তুলনায় এবার বেশি ভুল-ত্রুটি হয়েছে। পরীক্ষকদের দায়িত্ব অবহেলার বিষয়টি বোর্ডের শৃঙ্খলা কমিটির বৈঠকে উপস্থাপন করা হবে। যাতে দায়ীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া যায়।শিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, এসএসসি পরীক্ষার ফল পুনর্নিরীক্ষণের জন্য এবার আবেদন করেছিল ৯ হাজার ৭৮৬ পরীক্ষার্থী। তারা ২২ হাজার ৫২৩টি উত্তরপত্র পুনর্নিরীক্ষণের জন্য গত ৩১ মে থেকে ৬ জুন পর্যন্ত আবেদন করে। সবচেয়ে বেশি আবেদন জমা পড়ে গণিত বিষয়েরে জন্য। এ বিষয়ে ৪ হাজার ২৮৬টি আবেদন জমা পড়ে।আজকের নতুন ফলে দেখা যায়, অকৃতকার্য থেকে পাস করেছে ৪৪ জন (দুজন জিপিএ-৫) ; জিপিএ-৫ থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫৪ জন (২৩ জন গোল্ডেন জিপিএ-৫), জিপিএ পরিবর্তন হয়েছে ৮৮ জনের, অকৃতকার্য থেকে অকৃতকার্য ৫ জন।চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক সুমন বড়ুয়া প্রথম আলোকে জানান, পুনর্নিরীক্ষণের পর ফল পরিবর্তন হওয়া পরীক্ষার্থীরা কলেজে ভর্তির জন্য ২১ জুন (রোববার রাত ১১টা ৫৯ মিনিট) পর্যন্ত আবেদন করতে পারবে। এ ছাড়া ইতিমধ্যে যারা আবেদন করেছে, তারা চাইলে কলেজের পছন্দক্রম পরিবর্তন করতে পারবে।
146,457
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
১৬ জুলাই ২০১৪, ১৫:৪৪
১৬ জুলাই ২০১৪, ১৭:০১
আইন ও বিচার
0
নারায়ণগঞ্জে মা-মেয়ে হত্যায় তিনজনের মৃত্যুদণ্ড
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/269167
নারায়ণগঞ্জের পাইকপাড়া এলাকায় মা ও মেয়েকে জবাই করে হত্যার দায়ে তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-২-এর বিচারক মিজানুর রহমান আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।দণ্ড পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন আবদুল মালেক ওরফে হিরো মালিক (৩৫), ওমর ফারুক (৩৯) ও আবদুস সালাম (৩৯)।অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি কে এম ফজলুর রহমান প্রথম আলোকে জানান, ২০১২ সালের ১৫ আগস্ট নারায়ণগঞ্জ শহরের পাইকপাড়ায় দোতলা ফ্ল্যাটের দরজার তালা ভেঙে সৌদিপ্রবাসী আহম্মেদ আলীর স্ত্রী মাবিয়া আক্তার (৪৬) ও মেয়ে সাদিয়া আক্তারের (১২) জবাই করা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত সাদিয়া শহরের আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী ছিল। এ ঘটনায় নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় হত্যা মামলা করা হয়।অতিরিক্ত মসরকারি কৌঁসুলি আরও জানান, মাবিয়ার স্বামী দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে সৌদিপ্রবাসী। মাবিয়ার বাড়িতে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার রয়েছে, এই ধারণা থেকে আসামিরা পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০১২ সালের ১৩ আগস্ট তাঁর বাড়ি গিয়ে তাঁকে ও মেয়েকে জবাই করে হত্যা করে। দুই দিন পর পুলিশ ফ্ল্যাটের তালা ভেঙে লাশ দুটি উদ্ধার করে। এ ঘটনায় মামলা হলে পুলিশ নিহত মাবিয়ার মোবাইল ফোন ট্র্যাকিং করে খুনিদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার করে। আসামিরা হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
78,040
ইকবাল গফুর, সখীপুর (টাঙ্গাইল)
bangladesh
বাংলাদেশ
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪, ০১:২০
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪, ০১:২২
টাঙ্গাইল,ঢাকা বিভাগ,নির্বাচন
0
মনোনয়নের জন্য আ.লীগ নেতাদের দৌড়ঝাঁপ
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/148282
আগামী ২৩ মার্চ অনুষ্ঠেয় টাঙ্গাইল-৮ (সখীপুর-বাসাইল) আসনের উপনির্বাচনে বিএনপি এবং ওই এলাকার রাজনৈতিক নেতা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী অংশ নিচ্ছেন না, এটা অনেকটাই নিশ্চিত।ফলে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ যাঁকে মনোনয়ন দেবেন, তাঁরই জেতার সম্ভাবনা বেশি। এ জন্য দলীয় মনোনয়ন পেতে আওয়ামী লীগের নেতারা জোর চেষ্টা-তদবির করেছেন।গত ২০ জানুয়ারি ওই আসনের সাংসদ শওকত মোমেন শাহজাহান হূদেরাগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলে আসনটি শূন্য হয়। ফলে দীর্ঘ ১৪ বছর পর আবারও এই আসনে উপনির্বাচন হতে যাচ্ছে। এর আগে কাদের সিদ্দিকী আওয়ামী লীগ থেকে পদত্যাগ করলে ১৯৯৯ সালের ১৫ নভেম্বর সেখানে উপনির্বাচন হয়েছিল। ‘বিতর্কিত’ ওই উপনির্বাচনে কাদের সিদ্দিকীকে হারিয়ে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শওকত মোমেন নির্বাচিত হন।গত ৫ জানুয়ারি জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি ও কাদের সিদ্দিকীর দল অংশ না নেওয়ায় এই উপনির্বাচনেও তারা অংশ নিচ্ছে না বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে। তাই ‘সহজে জয়ের’ আশায় আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে একাধিক ব্যক্তি চেষ্টা করছেন। এলাকার মানুষেরও আগ্রহ—কে হচ্ছেন শওকত মোমেন শাহজাহানের উত্তরসূরি? আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার জন্য যাঁরা গণসংযোগ ও চেষ্টা করছেন, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন প্রয়াত সাংসদের ছেলে ও কেন্দ্রীয় প্রজন্ম লীগের সহসভাপতি অনুপম শাহজাহান, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপকমিটির সহ-সম্পাদক ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আতাউল মাহমুদ, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক মহাব্যবস্থাপক আবদুল মালেক মিয়া, টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলাম, আওয়ামী লীগ নেতা ও বোয়ালী কলেজের অধ্যক্ষ সাঈদ আজাদ এবং আইনজীবী আবদুর রশিদ।অনুপম শাহজাহান ও আতাউল মাহমুদ প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী।এদিকে বিএনপির একাংশের নেতা দাবিদার লাবিব গ্রুপের চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন আলমগীর স্বতন্ত্র প্রার্থী হবেন বলে এলাকায় পোস্টার সেঁটেছেন। আর জাতীয় পার্টির (এরশাদ) মনোনীত প্রার্থী কাজী আশরাফ সিদ্দিকী বলেন, ‘দশম সংসদ নির্বাচনে দলের চেয়ারম্যান এরশাদের নির্দেশে মনোনয়ন তুলে নিয়েছিলাম, যার কারণে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সাংসদ হয়েছিলেন। এবার খালি মাঠে গোল দিতে দেব না।’
51,724
বিনোদন প্রতিবেদক
entertainment
বিনোদন
২৪ জুন ২০১৬, ০০:০২
৩০ এপ্রিল ২০১৮, ১৭:৩৮
বিনোদন,চলচ্চিত্র,মাহিয়া মাহি
null
বরকে নিয়ে টিভিতে মাহি
http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/897280
চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির সঙ্গে ক্যামেরার সখ্যটা অনেক দিনের। কিন্তু তাঁর স্বামী অপুর অভিজ্ঞতা নতুন। তাই যখন টিভি চ্যানেল থেকে আমন্ত্রণ এল তাঁদের কাছে, তখন অপু একটু বেশিই উদ্বিগ্ন ছিলেন এ নিয়ে। আর মাহি ছিলেন রোমাঞ্চিত। কারণ, বিয়ের পর এবারই তাঁদের প্রথম ঈদ আর প্রথম টিভি অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া।সম্প্রতি মাছরাঙা টেলিভিশনের জন্য নির্মিত ‘কেমিস্ট্রি’ নামের একটি অনুষ্ঠানের দৃশ্য ধারণ হলো। এতেই অতিথি হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন মাহি ও তাঁর বর অপু। রুমানা মালিক মুনমুনের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানটি ঈদের পঞ্চম দিন দেখানো হবে। তবে এটাই শেষ নয়। যমুনা টেলিভিশনের ঈদের বিশেষ ‘শোবিজ টুনাইট’ অনুষ্ঠানেও এই নবদম্পতির যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে। আপাতত এ দুটি অনুষ্ঠানের খবরই দিলেন মাহিয়া মাহি।বরকে নিয়ে টিভি অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার মজার অভিজ্ঞতার কথা জানালেন এ অগ্নি অভিনেত্রী। তিনি বলেন, ‘অনুষ্ঠানের জন্য চারটা পাঞ্জাবি কিনেছিল অপু। পরে অবশ্য আমার উপহার দেওয়া পাঞ্জাবিটাই পরেছিল। কিন্তু তার সে কী প্রস্তুতি! পারলারে গিয়ে ফেসিয়ালও করেছিল!’টেলিভিশন অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার অভিজ্ঞতার কথা জানাতে গিয়ে অপু একটু ঠাট্টা করেই বলেন, ‘ক্যামেরার সামনে মাহির চেয়ে কিন্তু আমাকে বেশি সুন্দর লাগছিল! উপস্থাপকের সঙ্গে কথাও মাহির চেয়ে আমিই বেশি বলেছি।’
235,323
মেডিকেল প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
৩১ অক্টোবর ২০১৭, ১১:১৪
৩১ অক্টোবর ২০১৭, ১১:৩৭
-1
null
ঢাকা মেডিকেলে বহির্বিভাগ বন্ধ করে বিক্ষোভ
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1355116
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা বিভিন্ন দাবিতে আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে বহির্বিভাগ বন্ধ করে দিয়েছেন। চিকিৎসাসেবা বন্ধ থাকায় দুর্ভোগে পড়েছেন রোগীরা। বহির্বিভাগের সামনে বিক্ষোভ করে সেখানে তালা ঝুলিয়ে দেন ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা। পরে মানববন্ধন করেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) বাচ্চু মিয়া এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। ইন্টার্ন চিকিৎসকেদের দাবির মধ্যে রয়েছে হাসপাতালের ভেতরে পাস ছাড়া কোনো রোগীর স্বজনকে ঢুকতে না দেওয়া, ইন্টার্ন চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ইত্যাদি। ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ওপর হামলার ঘটনায় সুষ্ঠু বিচারসহ নানা দাবিতে বিক্ষোভ করছেন তাঁরা। হাসপাতালের বহির্বিভাগে সকাল নয়টা থেকে বেলা দুইটা পর্যন্ত চিকিৎসাসেবা চলে। বহির্বিভাগ বন্ধ থাকায় রোগীরা দুর্ভোগে পড়ছেন। বহির্বিভাগের ওয়ার্ডমাস্টার মো. রিয়াজ উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, সকালে টিকিট বিক্রি শুরু করার মুহূর্তে ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা তা বন্ধ করে দেন।
343,008
ভোলা প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
৩০ নভেম্বর ২০১৬, ০০:০১
৩০ নভেম্বর ২০১৬, ০০:০১
ভোলা,বিশাল বাংলা
0
কৃষিঋণ
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1030527
ভোলার সহস্রাধিক কৃষককে ‘এ’ কার্ডের (কৃষি কার্ড) মাধ্যমে কৃষিঋণ দেওয়া হবে। গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১টায় গ্রামীণ জন উন্নয়ন সংস্থার (জিজেইউএস) কার্যালয়ে ইউএসএআইডির কৃষি সম্প্রসারণ প্রকল্প ও জিজেইউএসের মধ্যে এ ঋণসংক্রান্ত সমঝোতা চুক্তি হয়। ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইউএসএআইডির কৃষি সম্প্রসারণ প্রকল্পের দলপ্রধানবিদ্যুৎ কুমার মোহালদার ও জিজেইউএসের নির্বাহী পরিচালক জাকির হোসেন ওরফে মহিন মিয়া। এ সময় ইউএসএআইডির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা মাঠপর্যায়ে জিজেইউএসের কার্যক্রম ও এ-কার্ড এজেন্ট ব্যাংকেরকার্যক্রম ঘুরে দেখেন এবং কৃষকদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে কৃষকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।
270,105
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
bangladesh
বাংলাদেশ
২৪ জানুয়ারি ২০১৯, ১৯:২৫
২৬ জানুয়ারি ২০১৯, ১১:০৫
অপরাধ,দুদক,চট্টগ্রাম,দুর্নীতি
null
ভুয়া নামজারি, ফেঁসে গেলেন কানুনগোসহ ৯ জন
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1575978
ক্ষমতার অপব্যবহার করে ভুয়া দলিলের মাধ্যমে নামজারির অভিযোগে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলা ভূমি অফিসের কানুনগোসহ নয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করবে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বৃহস্পতিবার মামলা করার বিষয়টি কমিশন অনুমোদন করে বলে দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, সংস্থার উপসহকারী পরিচালক মো. শরীফ উদ্দীন শিগগিরই মামলাটি দায়ের করবেন।মামলায় যাঁদের আসামি করা হচ্ছে তারা হলেন–রাঙ্গুনিয়া উপজেলা ভূমি অফিসের কানুনগো মংনি মার্মা, একই অফিসের সাবেক কানুনগো (বর্তমানে ফেনীর সোনাগাজী উপজেলা ভূমি অফিসের কানুনগো) দীনেশ কান্তি চাকমা, রাঙ্গুনিয়া সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের দলিল লেখক কাজী আতাউর রহমান, রাঙ্গুনিয়া ঘাগড়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসের ভূমি সহকারী কর্মকর্তা (বর্তমানে কর্ণফুলী ইউনিয়ন ভূমি অফিসে কর্মরত) আবু বক্কর হোসেন ইবনে কাশেম, চৌধুরী মোহাম্মদ আবু নাসের ইবনে কাশেম ও সুমন চৌধুরী, ঘাগড়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসের ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা মো. আকরাম হোসেন, রাঙ্গুনিয়া সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের অতিরিক্ত নকলনবীশ বটন দাশ ও সৈয়দুল আলম।
388,012
কূটনৈতিক প্রতিবেদক
bangladesh
বাংলাদেশ
১২ জানুয়ারি ২০১৭, ০২:২৬
১২ জানুয়ারি ২০১৭, ০২:২৮
সরকার
0
রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিন
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1057889
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মিয়ানমারের নাগরিকদের বাংলাদেশ থেকে ফিরিয়ে নিতে আবারও আহ্বান জানিয়েছেন। গতকাল বুধবার মিয়ানমারের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কিউ তিন তাঁর সঙ্গে গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাতের সময় তিনি এ আহ্বান জানান। প্রধানমন্ত্রী তাঁকে বলেন, দুই দেশ আলোচনার মাধ্যমে সমস্যাটির স্থায়ী সমাধান করতে পারে।প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিমকে উদ্ধৃত করে বাসস এ খবর জানায়।মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অং সান সু চির বিশেষ দূত হিসেবে কিউ তিন গত মঙ্গলবার বাংলাদেশ সফরে আসেন। গতকাল সৌজন্য সাক্ষাতের সময় তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে অং সান সু চির একটি চিঠি হস্তান্তর করেন। ওই চিঠিতে সু চি বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক নিবিড় করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।এর আগে গতকাল দুপুরে কিউ তিন পররাষ্ট্রসচিব মো. শহীদুল হকের সঙ্গে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় বৈঠক করেন। এরপর তিনি সেখানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।এসব বৈঠকে উপস্থিত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে গত রাতে কথা বলে জানা গেছে, ওই আলোচনাগুলোতেও মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বিশেষ দূতকে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়ার বিষয়টি জোরালোভাবে বলেছে বাংলাদেশ। কিউ তিনকে বলা হয়েছে, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে রোহিঙ্গারা আবারও বাংলাদেশে প্রবেশের ফলে নানা ধরনের সমস্যা তৈরি হচ্ছে। প্রাণের ভয়ে এসব লোকের বাংলাদেশে পালিয়ে আসা বন্ধ করতে মিয়ানমারের সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। এই সমস্যার সমাধানে মিয়ানমার সহযোগিতা চাইলে বাংলাদেশ হাত বাড়িয়ে দিতে তৈরি আছে।কর্মকর্তারা বলেন, রোহিঙ্গাদের নিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান মিয়ানমারের নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী অং সান সু চির দূতের কাছে জোরালোভাবে তুলে ধরা হয়েছে। কয়েক দশক ধরে এ দেশে তিন লাখের বেশি রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে। গত অক্টোবরে রাখাইন রাজ্যে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের ওপর সশস্ত্র বাহিনীর হত্যা-নির্যাতন শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ৬৫ হাজার রোহিঙ্গা নতুন করে বাংলাদেশে এসেছে। কয়েক বছরের বিরতির পর মিয়ানমার থেকে আবার রোহিঙ্গাদের প্রবেশ বাংলাদেশকে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন করে তুলেছে। মিয়ানমারকে সমস্যার দীর্ঘস্থায়ী সমাধানের জন্য এর মূলে যেতে হবে। অর্থাৎ রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্বের বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। এটি হলে রোহিঙ্গারা প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে আসা বন্ধ করবে। এ মুহূর্তে বাংলাদেশে অবস্থান নেওয়া কয়েক লাখ রোহিঙ্গাকে ফিরিয়ে নেওয়ার বিষয়টিতে বাংলাদেশ জোর দিয়েছে।‘সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স’মিয়ানমারের বিশেষ দূতকে সৌজন্য সাক্ষাতের সময় প্রধানমন্ত্রী সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির প্রসঙ্গটি পুনর্ব্যক্ত করেন। বাংলাদেশের ভূখণ্ড কোনো প্রতিবেশী দেশের বিরুদ্ধে ব্যবহার হতে দেওয়া হবে না বলেও উল্লেখ করেন তিনি।দুই দেশের সম্পর্কের বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে প্রতিবেশীর সঙ্গে সম্পর্ককে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ার বিষয়ে বাংলাদেশের অঙ্গীকার প্রধানমন্ত্রী পুনর্ব্যক্ত করেন। শেখ হাসিনা বলেন, ‘মিয়ানমারের সঙ্গে সম্পর্ক আরও জোরদারের জন্য প্রয়োজনীয় যা যা করার আমি করব।’বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নের প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, উন্নয়নের ক্ষেত্রে এ দেশের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে পারে মিয়ানমার। তিনি মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী অং সান সু চিকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।মিয়ানমারের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কিউ তিন দুই দেশের সীমান্তে বর্ডার লিয়াজোঁ অফিস চালুর ওপর জোর দিয়ে বলেন, দুই দেশের জন্য এটা গুরুত্বপূর্ণ। তিনি দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে তথ্য বিনিময়ের ওপরও জোর দেন।গত অক্টোবরে রাখাইন রাজ্যে সশস্ত্র বাহিনীর অভিযান শুরুর পর বাংলাদেশে নতুন করে রোহিঙ্গারা আসতে শুরু করলে সমস্যাটি নিয়ে মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চেয়েছে বাংলাদেশ। কিন্তু এতে সাড়া দেয়নি মিয়ানমার। রাখাইনের সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বিষয়ে আন্তর্জাতিক চাপ বাড়তে থাকায় শেষ পর্যন্ত ঢাকায় আলোচনার জন্য বিশেষ দূত পাঠিয়েছে মিয়ানমার।
282,501
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঝিনাইদহ
bangladesh
বাংলাদেশ
২৬ অক্টোবর ২০১৬, ১১:৫৭
২৬ অক্টোবর ২০১৬, ১৫:০৭
অপরাধ
null
সেই ছাত্রীকে ছুরিকাঘাত করা যুবক গ্রেপ্তার
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1007889
ঝিনাইদহে স্কুলছাত্রীকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যাওয়া যুবক লিটুকে (২৬) গুলিবিদ্ধ অবস্থায় গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার রাতে সদর উপজেলার নৃসিংহপুর গ্রামের একটি পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশের দাবি, গ্রেপ্তারের সময় লিটুর কাছ থেকে তিনটি হাতবোমা ও একটি ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে।ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজবাহার আলী শেখ জানান, লিটু পরিত্যক্ত ওই বাড়িতে অবস্থান করছেন—এমন গোপন খবরের ভিত্তিতে সেখানে সদর থানার পুলিশ অভিযান চালায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে লিটু পুলিশকে লক্ষ্য করে দুটি হাতবোমা ছুড়ে মারেন। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। এতে গুলিবিদ্ধ হন লিটু। পরে সেখান থেকে একটি ব্যবহৃত ছুরি ও তিনটি হাতবোমা উদ্ধার করে পুলিশ।আজবাহার আলী শেখ আরও জানান, লিটুকে গ্রেপ্তার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।প্রসঙ্গত, প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় গত সোমবার সন্ধ্যায় ঝিনাইদহ শহরের উপশহরপাড়ায় স্কুলছাত্রী পূজা বিশ্বাসকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান বখাটে যুবক লিটু। এ ঘটনায় সোমবার রাতে স্কুলছাত্রীর বাবা বিপুল কুমার বিশ্বাস বাদী হয়ে ঝিনাইদহ সদর থানায় লিটুকে প্রধান আসামি করে পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এই মামলায় লিটুর দুই সহযোগীকে সোমবার রাতে পুলিশ গ্রেপ্তার করে।লিটু মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার হোগলবাড়িয়া গ্রামের আলতাফ হোসেনের ছেলে। তিনি ঝিনাইদহ শহরের উপশহরপাড়ায় বোনের বাড়িতে থাকতেন।আরও পড়ুন:প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ছাত্রীকে কুপিয়ে আহত!
259,326
অনলাইন ডেস্ক
sports
খেলা
২৮ মার্চ ২০১৭, ১৫:০৫
২৮ মার্চ ২০১৭, ১৬:১১
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট
null
সবশেষে ক্ষমা চাইলেন স্মিথ
http://www.prothom-alo.com/sports/article/1123416
বিরাট কোহলিকে নিয়ে সমালোচনার যে ঝড় উঠেছিল, তাতে ঢাল হয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্ক। সমালোচকদের উদ্দেশ করে বলেছিলেন, সিরিজটা শেষ হলে সবাই দেখতে পাবে কোহলি আর স্টিভেন স্মিথ আবার ‘বন্ধু’ হয়ে যাবে। আজ ভারত যখন ধর্মতলা টেস্ট জিতে সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে, ঠিক সেই সময়ে মাঠে ছিলেন না কোহলি। এই ম্যাচে ভারতের ‘ভারপ্রাপ্ত’ অধিনায়ক অজিঙ্কা রাহানের সঙ্গে বন্ধুর মতোই কথা বলেছেন স্মিথ। আর ম্যাচ শেষে সিরিজে ঘটা অপ্রীতিকর ঘটনার জন্য করেছেন দুঃখপ্রকাশ।কথার লড়াইয়ের উত্তাপ, লড়াইয়ের উত্তেজনা আর ভালো ক্রিকেটের রোমাঞ্চ—কী ছিল না ভারত-অস্ট্রেলিয়ার এবারের টেস্ট সিরিজে! বিতর্ক সবচেয়ে বেশি হয়েছে বেঙ্গালুরুতে দ্বিতীয় ম্যাচে একটি রিভিউ নেওয়ার বিষয় নিয়ে। রিভিউ নেবেন কি না, সেটা জানতে ড্রেসিংরুমের দিকে তাকিয়ে ছিলেন অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক। পরে অবশ্য তিনি বলেছিলেন, ক্ষণিকের জন্য বুদ্ধিভ্রম হয়েছিল তাঁর! সিরিজ শেষের সংবাদ সম্মেলনে এসে বললেন, আবেগ সামলাতে পারেননি বলেই এমন হয়েছিল, ‘আমি নিজেই ধন্দের মধ্যে আছি। আমি আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারিনি। এর জন্য ক্ষমা চাইছি আমি।’ কথার লড়াই নিয়ে বাড়াবাড়ি আর বিতর্কের অংশটুকু বাদ দিলে দারুণ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ একটি সিরিজই ছিল এটা। স্মিথের কথায়ও উঠে এল মাঠের লড়াইয়ের সেই গল্প, ‘অসাধারণ এক সিরিজ ছিল এটা। আমি খেলেছি—এমন সিরিজগুলোর মধ্যে অন্যতম সেরা। ভারতকে কৃতিত্ব দিতে হবে। অসাধারণ এক দল তারা, বিশেষ করে নিজেদের মাঠে।’ সিরিজটি অস্ট্রেলিয়া হেরেছ ২-১ ব্যবধানে। ভারতের মাটিতে এভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পেরে খুশি স্মিথ, ‘অস্ট্রেলিয়ার জন্য এটা কঠিনতম কন্ডিশন। তাদের এতটা চ্যালেঞ্জ জানাতে পেরে আমি গর্বিত। অনেক মানুষই আমাদের সিরিজ শুরুর আগেই উড়িয়ে দিয়েছিল। তারা বলেছিল, আমরা ৪-০-তে হোয়াইটওয়াশ হব। আমরা যেভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছি, তাতে আমি গর্বিত।’ জি নিউজ।
307,155
কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
২১ জুন ২০১৫, ০১:১১
২১ জুন ২০১৫, ০১:১২
কমলগঞ্জ,মৌলভীবাজার,সিলেট বিভাগ,বিশাল বাংলা
null
ওজনে কম থাকায় খাদ্যসামগ্রী ফেরত
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/558589
ওজনে কম থাকায় মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের শমশেরনগর চা-বাগানের চা-শ্রমিকেরা সরকারি খাদ্যসামগ্রী ফেরত পাঠিয়েছেন। গতকাল শনিবার এই ঘটনা ঘটে। গতকাল দুপুরে শমশেরনগর চা-বাগানের নাচঘর চত্বরে আনুষ্ঠানিকভাবে এসব খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করতে এসেছিলেন কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, সমাজসেবা কর্মকর্তা ও ইউপি চেয়ারম্যান। শমশেরনগর চা-বাগানের শ্রমিক গোপাল কানু, শংকর রবিদাসসহ কয়েকজন অভিযোগ করে বলেন, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে বিশেষ খাদ্য সহায়তা কর্মসূচির আওতায় শমশেরনগর চা-বাগানের ১৫০ নারী শ্রমিককে চাল, ডাল, আটাসহ বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রীদেওয়া হয়। গতকাল সকালে ওই চা-বাগানের শ্রমিকদের মধ্যে বিতরণের জন্য দুই ট্রাক খাদ্যসামগ্রী পাঠানো হয়। শ্রমিকেরা জানান, পরিমাণ কম বলে সন্দেহ হওয়ায় চা-শ্রমিকেরা তা ওজন করে দেখার দাবি জানান। তাঁদের দাবির মুখে কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুর রহমান ও সমাজসেবা কর্মকর্তা সমরজিৎ পাল খাদ্যসামগ্রীর প্যাকেট ওজন করে দেখার সিদ্ধান্ত দেন। পরে প্যাকেটগুলো ওজন করে দেখা যায় ১৫ কেজি চালের স্থলে ১০ কেজি, নয় কেজি ডালের স্থলে ছয় কেজি, আটা ১৫ কেজির স্থলে ১২ কেজি, আলু ১৫ কেজির স্থলে ১৩ কেজি। তাছাড়া নিম্নমানের শাড়ি থাকায় নারী শ্রমিকেরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। চা শ্রমিকদের শান্ত করতে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুর রহমান ও উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা বিতরণ না করে পরে নির্ধারিত পরিমাণে খাদ্যসামগ্রী দেওয়ার আশ্বাস দেন। উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা সমরজিৎ পাল বলেন, খাদ্যসামগ্রী সরবরাহকারী ঠিকাদার ওজনে কম দেওয়ার কারণে এ ঘটনা ঘটেছে। আগামীকাল সোমবার সঠিকভাবে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হবে। পরিমাণে কম দেওয়ার অভিযোগ সম্পর্কে ঠিকাদার পারভেজ চৌধুরী মুঠোফোনে বলেন, তাঁর প্রতিষ্ঠানের নামে খাদ্যসামগ্রী সরবরাহ করা হচ্ছে ঠিক। কিন্তু শনিবার শমশেরনগর চা-বাগানে কী হয়েছে, তা তিনি জানেন না। এ ব্যাপারে সঠিক তথ্য দিতে পারবেন কমলগঞ্জ উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা।
146,764
হৈমন্তী শুক্লা
entertainment
বিনোদন
৩১ অক্টোবর ২০১৩, ০০:০৪
৩১ অক্টোবর ২০১৩, ০০:০৪
সংগীত,আনন্দ
0
বাবার মতোই শ্রদ্ধা করতাম তাঁকে
http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/61087
মান্নাদাকে বাবার মতো শ্রদ্ধা করতাম। তিনিও আমাকে কন্যার মতো ভালোবাসতেন, আদর করতেন। মান্নাদা বরাবরই ক্লাসিক্যাল গান বেশি পছন্দ করতেন। আমারও তা পছন্দ ছিল। সেই কারণে মান্নাদার প্রিয়পাত্র হয়ে উঠেছিলাম। তাঁর অনেক গান গেয়েছি। দ্বৈতকণ্ঠেও গান গেয়েছি। তাঁর সুরারোপিত বহু গান গেয়েছি। একবার আমার সুর করা একটি গানেও কণ্ঠ দিয়েছিলেন তিনি। এখনো আমার স্মৃতিতে ভেসে উঠছে অতীত দিনের নানা কথা।১৯৭২ সালের কথা। হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে দিল্লিতে গিয়েছিলাম একটি অনুষ্ঠানে। তখনই প্রথম পরিচয় হয় মান্না দের সঙ্গে। তখন থেকেই মান্নাদার ভক্ত হয়ে যাই। পাই তাঁর আশীর্বাদ।মান্নাদা ছিলেন বিরাট মাপের শিল্পী। সংগীতের মহিরুহ। তার গভীরতা পরিমাপ করা যায় না। ছিলেন বড় হূদয়ের মানুষ। মানুষকে কাছে টেনে নেওয়ার এক অদ্ভুত ক্ষমতা ছিল তাঁর।মান্নাদা তাঁর সংগীতজীবনের অধিকাংশ সময় মুম্বাইয়ে কাটিয়েছেন। কিন্তু এক মুহুর্তের জন্যও ভুলতে পারেননি কলকাতাকে। কলকাতায় তাঁর জন্ম। কলকাতায় বেড়ে ওঠা। সংগীতের হাতেখড়ি। তাই মুম্বাইয়ে থাকলেও মন পড়ে থাকত কলকাতায়। ডাক পেলেই আসতেন। আমার বাসায়ও এসেছেন। কী ভালো মানুষ ছিলেন তিনি!মান্নাদা ছিলেন মনেপ্রাণে একজন খাঁটি বাঙালি। বাংলায় কথা বলা বা বাঙালির খাবার তাঁর দারুণ পছন্দ ছিল। কলকাতায় এলেই ডুবে থাকতেন বাঙালি খাবারে। পছন্দও করতেন বাঙালি বেশভূষা।মান্নাদা বহু ভাষায় গান গেয়েছেন। কিন্তু তিনি যে ভাষায়ই গান করেছেন, ওই ভাষার শ্রোতারা কখনো বুঝতে পারেননি তিনি একজন বাঙালি শিল্পী। যখন যে ভাষায় গান গেয়েছেন, তখন যেন তিনি বনে গেছেন সেই ভাষারই একজন শিল্পী।বৌদিও (মান্না দের সহধর্মিণী, সুলোচনা কুমারন) মান্না দের সাহচর্যে এসে দারুণ বাংলা শিখেছিলেন। তিনি স্বচ্ছন্দে বাংলায় কথা বলতেন। ভালো রবীন্দ্রসংগীত গাইতেন। তিনি ছিলেন কেরালার মানুষ, জীবনের বেশির ভাগ সময় ছিলেন মুম্বাইয়ে।আজ মান্নাদা নেই। সব কিছুই ফাঁকা লাগছে। সারা মনজুড়ে তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে তাঁর নানা স্মৃতি। মান্নাদা একসময় কলকাতায় একটি সংগীত একাডেমি গড়তে চেয়েছিলেন। কিন্তু তা আর করা হলো না।মৃত্যুর পর মান্নাদার মরদেহ কলকাতায় এনে তাঁর প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানানোর উদ্যোগ নেওয়া হলেও তা আর তাঁর পরিবারের আপত্তিতে হয়ে ওঠেনি। মান্নাদাকে শেষ দেখা দেখতে পারল না কলকাতাবাসী। জানাতে পারল না শেষ শ্রদ্ধা। দিতে পারল না তাঁর নশ্বর দেহে ফুল-মালা। এ দুঃখ, এ লজ্জা ঢাকব কী করে?
24,370
বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
entertainment
বিনোদন
২০ এপ্রিল ২০১৯, ১৭:১৭
২০ এপ্রিল ২০১৯, ১৭:২২
বাংলা গান
null
অনুমতি পেলেই সিঙ্গাপুরে সুবীর নন্দী
http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/1589846
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে বরেণ্য সংগীতশিল্পী সুবীর নন্দীর চিকিৎসার যাবতীয় ব্যবস্থাপত্র সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অনুমতি মিললেই এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর নেওয়া হবে। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করা শেষে প্রথম আলোকে এসব তথ্য জানান জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জাতীয় সমন্বয়ক সামন্ত লাল সেন ও জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী কুমার বিশ্বজিৎ। সপ্তাহখানেক ধরে অসুস্থ হয়ে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে চিকিৎসাধীন আছেন সুবীর নন্দী। বরেণ্য এই শিল্পীর সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা প্রধানমন্ত্রীকে জানাতে সন্ধ্যায় গণভবন যান চার সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল। এই দলে সামন্ত লাল সেন আর কুমার বিশ্বজিৎ ছাড়াও ছিলেন বরেণ্য গায়ক রফিকুল আলম ও তপন চৌধুরী। ব্যস্ততার মধ্যেও প্রধানমন্ত্রী সময় নিয়ে সুবীর নন্দীর শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে খোঁজখবর নেন এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণের ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেন।প্রথম আলোকে আজ শনিবার দুপুরে সামন্ত লাল সেন বলেন, ‘গতকাল রাতেই সুবীর নন্দীর চিকিৎসার সব ব্যবস্থাপত্র আমরা সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়েছি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ যদি মনে করে, তাহলেই সুবীর নন্দীকে সেখানে নেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী ওর ব্যাপারে খুবই আন্তরিক। সব খোঁজখবর নিলেন। আসার সময় প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত থাকা অন্য শিল্পীদেরও শরীরের যত্ন নিতে বলেন। তাঁদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তোমরা একটু সাবধানে থেকো। তোমরা তো আমাদের দেশের সম্পদ। সবার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী এত বেশি কনসার্ন, এত ব্যস্ততার মধ্যে তাঁর এসব ভাবনা আমার বেশ ভালো লেগেছে।’কুমার বিশ্বজিৎ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবরই শিল্পীদের ব্যাপারে আন্তরিক। তাঁর এই আন্তরিকতার প্রমাণ তিনি আমাদের বারবার দিয়ে যাচ্ছেন। তিনি সবার খোঁজখবর যেভাবে রাখেন, তা ভেবে বিস্মিত হই। দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়েও এত ব্যস্ততার মধ্যে কীভাবে সম্ভব করেন! সমগ্র শিল্পীসমাজের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আমাদের আন্তরিক কৃতজ্ঞতা। আমরা তাঁর দীর্ঘায়ু কামনা করছি।’সুবীর নন্দীর জামাতা রাজেশ সিকদার প্রথম আলোকে জানিয়েছেন, ১২ এপ্রিল পরিবারের সবাই মিলে মৌলভীবাজারে আত্মীয়ের বাড়িতে যান। সেখানে একটি অনুষ্ঠান ছিল। ঢাকায় ফেরার ট্রেনে ওঠার জন্য বিকেলে মৌলভীবাজার থেকে শ্রীমঙ্গলে আসেন তাঁরা। ট্রেনেই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। ভাগ্যক্রমে সেখানে একজন চিকিৎসক থাকায় তাঁর পরামর্শে সুবীর নন্দীকে নিয়ে তাঁরা ঢাকার বিমানবন্দর স্টেশনে নেমে যান। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় রাত ১১টার দিকে তাঁকে দ্রুত সিএমএইচে নিয়ে যাওয়া হয়।জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে কিডনি ও হার্টের অসুখে ভুগছিলেন সুবীর নন্দী। দীর্ঘ ৪০ বছরের সংগীতজীবনে আড়াই হাজারের বেশি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন তিনি। রেডিও, টেলিভিশন, চলচ্চিত্রে নিয়মিত গাইছেন এখনো। ১৯৮১ সালে তাঁর প্রথম একক অ্যালবাম ‘সুবীর নন্দীর গান’ প্রকাশিত হয়। চলচ্চিত্রে তিনি প্রথম গান করেন ১৯৭৬ সালে ‘সূর্যগ্রহণ’ চলচ্চিত্রে। সুবীর নন্দী জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন চারবার। সংগীতে অবদানের জন্য এ বছর একুশে পদক পান তিনি।
398,757
ক্রীড়া প্রতিবেদক
sports
খেলা
২১ জানুয়ারি ২০১৫, ০১:৪৭
২১ জানুয়ারি ২০১৫, ০১:৪৮
খেলা,দেশের ফুটবল
0
এএফসি অনূর্ধ্ব-১৫
http://www.prothom-alo.com/sports/article/429877
আগামী ২০-২৫ এপ্রিল কাঠমান্ডুতে হবে এএফসি অনূর্ধ্ব-১৫ আঞ্চলিক চ্যাম্পিয়নশিপ। এতে অংশ নেবে বাংলাদেশ, ভারত, ভুটান, ইরান, মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা ও নেপাল। আগামী ১০ এপ্রিল প্রতিযোগিতার গ্রুপিং ও সূচি চূড়ান্ত হবে।
108,560
প্রতিনিধি, কলকাতা
international
আন্তর্জাতিক
১৯ জুন ২০১৮, ১০:৫৯
১৯ জুন ২০১৮, ১৫:৪৯
ভারত,কলকাতা
null
কলকাতায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস
http://www.prothom-alo.com/international/article/1512856
তীব্র দাবদাহে জ্বলছে কলকাতা। বৃষ্টি নেই। প্রচণ্ড গরমে জীবন হাঁসফাঁস। পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় গতকাল সোমবার ঘোষণা দিয়েছেন, ২০ থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত রাজ্যের সব সরকারি বিদ্যালয়ে গ্রীষ্মের ছুটি বাড়ানো হয়েছে। একই সঙ্গে বেসরকারি বিদ্যালয়ের প্রতিও ছুটি বাড়ানোর আহ্বান জানানো হয়েছে। কলকাতায় বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এখন গ্রীষ্মের ছুটি চলছে।গতকাল কলকাতার তাপমাত্রা ছিল সর্বোচ্চ ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের চেয়ে ৭ ডিগ্রি বেশি। গত ১০ বছরের মধ্যে জুনে এটাই সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড। কলকাতার আবহাওয়া দপ্তর বলেছে, আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কলকাতায় বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই।কেন্দ্রীয় আবহাওয়া বিভাগের ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল (পূর্বাঞ্চল) সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, এখনো বর্ষা দুর্বল অবস্থায় রয়েছে। সাগর থেকে পুবালি হাওয়ার বদলে উত্তর ও মধ্য ভারত থেকে গরম হাওয়া ঢুকছে গাঙ্গেয় বঙ্গে। এতে শুরু হয়েছে তীব্র তাপপ্রবাহ বা দাবদাহ। এই তাপপ্রবাহ অবশ্য অন্ধ্র প্রদেশ, বিহার, ওডিশা, ঝাড়খন্ড ও গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গেও চলছে। এই তাপপ্রবাহের ছোঁয়া লেগেছে কলকাতাসহ বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বীরভূম, পূর্ব বর্ধমান ও পশ্চিম বর্ধমানে।গতকাল বাঁকুড়ায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪২ দশমিক ৪ ডিগ্রি, বর্ধমানে ৪১ দশমিক ৮, পুরুলিয়ায় ৪০ দশমিক ৭ এবং দমদমে ছিল ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের চেয়ে ৫ ডিগ্রি বেশি।এদিকে তীব্র দাবদাহে কলকাতার লোকজন চরম কষ্টের শিকার হয়েছে। বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকায়। গ্রামীণ কলকাতার বহু মানুষের গৃহে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা না থাকায় প্রচণ্ড গরমে হাঁসফাঁস করছে। শিশুরা সবচেয়ে বেশি ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। গরমজনিত নানা রোগের পাশাপাশি খাবারে রুচি নেই শিশুদের। গতকাল রাতে কলকাতার গ্রামগুলোয় বহু মা ঘরের বাইরে দাওয়ায় শিশুদের নিয়ে রাত কাটিয়েছেন।আজ মঙ্গলবার সকালে এক মা জানান, গরমে সারা রাত তাঁর দেড় বছরের শিশু কান্নাকাটি করেছে। কিছুই খায়নি। মাঝরাত পর্যন্ত বাড়ির দাওয়ায় শিশুকে কোলে নিয়ে কাটিয়েছেন। শুধু কলকাতা নয়, পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণের বিভিন্ন জেলারও একই ছবি ছিল গতকাল। বৃষ্টি হয়নি। প্রচণ্ড দাবদাহে জ্বলেছে বিভিন্ন গ্রাম। সেখানে বৈদ্যুতিক পাখাতেও মানানো যায়নি প্রচণ্ড গরমকে।
367,755
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
২৫ মার্চ ২০১৭, ১৯:৩৩
২৯ এপ্রিল ২০১৮, ১২:২৪
কিশোরগঞ্জ,দুর্ঘটনা,কালবৈশাখী
0
কিশোরগঞ্জে কালবৈশাখী, একজনের মৃত্যু
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1119553
কিশোরগঞ্জে কালবৈশাখী ঝড়ে গাছচাপায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। বিধ্বস্ত হয় বহু কাঁচা ঘরবাড়ি ও গাছপালা। বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।এলাকাবাসী জানায়, সকাল সাড়ে ৮টার দিকে প্রচণ্ড কালবৈশাখী ঝড়ে জেলার করিমগঞ্জ উপজেলার পানাহার কনিকপুরের রইছ উদ্দিনের (৫০) ঘরের ওপর একটি বড় আম গাছ ভেঙে পড়ে। এতে ঘরের নিচে চাপা পড়ে রইছ উদ্দিন গুরুতর আহত হন। এলাকাবাসী তাঁকে উদ্ধার করে কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় পথে তাঁর মৃত্যু হয়। ঝড়ে উপজেলার জয়কা ইউনিয়ন ছাড়াও পাশের গুণধর ইউনিয়নে বহু কাঁচা ঘরবাড়ি, গাছপালা, ফসল ও বাঁশ ঝাড় বিধ্বস্ত হয়।করিমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাকির রাব্বানী ঝড়ে একজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।এ ছাড়া জেলার হোসেনপুর উপজেলায় কালবৈশাখীর ছোবল ও শিলাবৃষ্টিতে সবজিসহ বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। শনিবার ভোর সোয়া ৫টার দিকে শিলা বৃষ্টির পর সকাল সাড়ে ৮টায় আবার কাল বৈশাখীর ছোবলে বৈদ্যুতিক লাইন ও গাছপালা উপড়ে পড়ে।হোসেনপুর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়,৬টি ইউনিয়ন ও পৌর এলাকায় এ বছর ৭ হাজার ৭ শত হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ করা হয়েছে। এ বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়। কুমড়া, ভুট্টা, মরিচসহ প্রায় সব ধরনের উঠতি ফসলের ব্যাপক ক্ষতিসাধন হয়েছে।হোসেনপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. ইমরুল কায়েস জানান, শুধু চাল কুমড়া চাষিদেরই ১০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে ভুট্টা, ধান ও মরিচের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ধারণা করা যাচ্ছে না।হোসেনপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জোনাল অফিসের এজিএম মো. মোশারফ হোসেন বলেন, ঝড়ে ২০ টিরও অধিক বৈদ্যুতিক পিলার ভেঙে পড়েছে এবং লাইনের তার ছিঁড়ে পড়েছে। যার কারণে পৌর এলাকাসহ অনেক এলাকায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এ ছাড়া জেলার সদর উপজেলা, করিমগঞ্জ, তাড়াইল, হোসেনপুর, পাকুন্দিয়া, কটিয়াদী ও বাজিতপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকাসহ অন্যান্য উপজেলায়ও কালবৈশাখীর ঝড়ে ব্যাপক ক্ষতি সাধন হয়।
306,166
মো. আরিফ
opinion
মতামত
০৩ আগস্ট ২০১৪, ০০:০৪
০৩ আগস্ট ২০১৪, ০০:০৪
চিঠিপত্র,মতামত
0
প্রধান বন সংরক্ষকের প্রতি
http://www.prothom-alo.com/opinion/article/281239
আমরা ডিপ্লোমা ইন ফরেস্ট্রিতে উত্তীর্ণ ও অধ্যয়নরত এসএসসিতে মানবিক ও ব্যবসা শাখার ছাত্র। ডিপ্লোমা ইন ফরেস্ট্রিতে ভর্তি হওয়ার আগে প্রধান বন সংরক্ষকের কার্যালয় বন অধিদপ্তর থেকে ডিপ্লোমা ইন ফরেস্ট্রিতে ছাত্র ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয় তাদের নিজস্ব ওয়েবসাইটে (www.bforest.gov.bd) এবং এখান থেকে বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। বন অধিদপ্তর বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে চার বছর মেয়াদি যেসব ডিপ্লোমার জন্য ছাত্র ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে, ঠিক সেই নিয়মেই ছাত্র ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে।বন অধিদপ্তরের শিক্ষা উইংয়ের আওতায় এই প্রতিষ্ঠানের (ফরেস্ট্রি সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি ইনস্টিটিউট, চট্টগ্রাম) জন্য ছাত্র ভর্তি বিজ্ঞপ্তিতে আলাদাভাবে এসএসসিতে বিজ্ঞান বা সমমান উল্লেখ করা হয় না এবং বন অধিদপ্তরের এই প্রতিষ্ঠানের প্রধান উদ্দেশ্য হলো, এখান থেকে উত্তীর্ণ ছাত্ররা উন্মুক্ত প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ফরেস্টার পদে যোগদান করবেন। গত ৩ জুলাই বন অধিদপ্তর ফরেস্টার নিয়োগের জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। সেখানে উল্লেখ করে, এসএসসিতে বিজ্ঞান বা সমমানসহ ডিপ্লোমা ইন ফরেস্ট্রিতে উত্তীর্ণ হতে হবে।কিন্তু ডিপ্লোমা ইন ফরেস্ট্রি উত্তীর্ণ অনেক ছাত্র আছেন, যাঁদের এসএসসিতে বিজ্ঞান বা সমমান নেই। তাই ডিপ্লোমা ইন ফরেস্ট্রিতে উত্তীর্ণ ও অধ্যয়নরত এসএসসিতে ব্যবসা ও মানবিক শাখার ছাত্রদের জীবনের ভবিষ্যৎ চিন্তা করে ওই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি সংশোধন করে শুধু ডিপ্লোমা ইন ফরেস্ট্রিতে উত্তীর্ণ ছাত্রদের উন্মুক্ত প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ফরেস্টার পদে নিয়োগ দানের জন্য প্রধান বন সংরক্ষকের কাছে বিশেষভাবে অনুরোধ জানাচ্ছি। পারলে তিনিই পারবেন।মো. আরিফঢাকা।
82,208
আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
১৫ আগস্ট ২০১৪, ০১:১৭
১৫ আগস্ট ২০১৪, ০১:২৩
আদমদীঘি,রাজশাহী বিভাগ,বিশাল বাংলা,আইন ও বিচার
0
কারাদণ্ড
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/291478
মাদক বিক্রি ও সেবনের দায়ে বগুড়ার আদমদীঘিতে ভ্রাম্যমাণ আদালত তিনজনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন। ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক আদমদীঘি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুহুল আমিন এ রায় দেন। পুলিশ জানায়, গত মঙ্গলবার রাতে আদমদীঘির কুন্দগ্রাম এলাকা থেকে মাদক বিক্রির দায়ে উপজেলার ছোট জিনইর গ্রামের মিনু বেগম ও গাঁজা সেবনের দায়ে গাবতলী উপজেলার জয়ভোগা গ্রামের মিজানুর রহমানকে আটক করে। পরে বুধবার দুপুরে মাদক সেবনের দায়ে আদমদীঘির নশরৎপুর এলাকার রাজেশ্বর নামে একজনকে আটক করা হয়। আদালত আটক মিনু বেগমকে দুই বছর, মিজানুরকে এক মাস ও রাজেশ্বরকে এক বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।
85,223
অনলাইন ডেস্ক
bangladesh
বাংলাদেশ
০৮ এপ্রিল ২০১৭, ১৬:০৪
০৪ এপ্রিল ২০১৮, ১৭:৫০
সরকার,বাংলা নববর্ষ
0
ভারতবাসীকে বাংলায় নববর্ষের শুভেচ্ছা হাসিনার
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1138371
ভারতের নয়াদিল্লিতে হায়দরাবাদ হাউসে সে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে শীর্ষ বৈঠকের পর যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বক্তব্যের শেষ দিকে তিনি বাংলায় কথা বলেন। মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় সহযোগিতার জন্য ভারতবাসীকে তিনি কৃতজ্ঞতা জানান। বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছাও জানান।শেখ হাসিনা বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় থেকে দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। গাঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ফলে দুই দেশের মানুষ উন্নত জীবন পাবে।শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী মোদি সব ক্ষেত্রে আমাদের সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। সে জন্য বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই।’সকালে রাষ্ট্রপতি ভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। সেখানে তাঁকে আনুষ্ঠানিক অভ্যর্থনা জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
310,061
নিজস্ব প্রতিবেদক
bangladesh
বাংলাদেশ
০৬ আগস্ট ২০১৫, ০১:৩০
০৬ আগস্ট ২০১৫, ০১:৩৩
আমার চট্টগ্রাম
0
দর্শক মাতালো ‘চার্ম অব কোরিয়া’
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/594613
মিলনায়তনে ঢোকার আগেই ভেসে আসে বাংলা গানের সুর। একটু খটকা লাগল। কারণ, অনুষ্ঠানটির নাম ‘চার্ম অব কোরিয়া’। দক্ষিণ কোরিয়ার শীর্ষ সংগীতশিল্পী উং সান সুরের মূর্ছনায় মুগ্ধ করবেন এমন প্রত্যাশা। তবে তার ব্যত্যয় ঘটেনি। মূল শিল্পী আসার আগে মঞ্চে বাংলাদেশের আসওয়াদ ব্যান্ড কিছু বাংলা গান শুনিয়ে আবহটা তৈরি করছিলেন কেবল। আর আসওয়াদের গানের ফাঁকে দর্শকে ভর্তি হয়ে যায় মিলনায়তন। উং সান মঞ্চ উঠতেই করতালিতে ফেটে পড়ে মিলনায়তন। সুরের জালে বন্দী করেন দর্শকদের। কোরিয়ান এই সংগীতশিল্পী ১১টি গান করেন। নাথিং কমপ্রেস টু ইউ, মেরি, ইয়েস্টার ডে ইত্যাদি গানে গলা মেলান দর্শকেরাও। গত শনিবার চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) শাহ আলম বীর উত্তম মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল জমজমাট এই অনুষ্ঠানটি। কোরিয়ান দূতাবাসের আয়োজনে অনুষ্ঠিত এই সংগীতসন্ধ্যার সহযোগিতায় ছিল পিএইচপি ফ্যামিলি। অনুষ্ঠানে কোরিয়ান রাষ্ট্রদূত লি ইয়ন ইয়াং বলেন, বাংলাদেশ ও কোরিয়ার সম্পর্ক আরও উন্নত করে ঘনিষ্ঠতা বাড়াতে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
158,002
সুহাদা আফরিন
bangladesh
বাংলাদেশ
১২ আগস্ট ২০১৬, ০২:৩৩
১২ আগস্ট ২০১৬, ০২:৩৪
রাজধানী,রাজধানী (জাতীয়)
0
পুরান ঢাকায় সকালের নাশতা
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/943825
সিরাজুল হক বাসায় সকালের নাশতা করেন খুব কম। বললেন, ‘বাসায় এমন ভাজি পাব কই!’ তিনি দেশবন্ধু সুইটমিট ও রেস্টুরেন্টে নিয়মিত আসেন রুটি-ভাজি খেতে। পুরান ঢাকার খাবারের ঐতিহ্য নতুন নয়। আর সকালের নাশতার জন্যও খ্যাতি আছে নতুন-পুরোনো অনেক রেস্তোরাঁর। মতিঝিলের ৯/আই রোডের দেশবন্ধু সুইটমিট ও রেস্টুরেন্ট লিমিটেড। রেস্তোরাঁটির বয়স ৫৮ বছর। এর ব্যবস্থাপক রবি সরকার বলেন, ‘অনেক দূর থেকেও মানুষ আসে। রুটি, পরোটা আর ভাজিটাই বেশি চলে।’ তাঁদের পাঁচফোড়নের খিচুড়ির ভক্তও অনেকে। এ ছাড়া হালুয়া, ডাল, ডিমও পাওয়া যায় সকালের নাশতায়। সঙ্গে বাড়তি রয়েছে নানা স্বাদের মিষ্টি। ২৭ থেকে ৫০ টাকায় একজনের নাশতা হয়ে যায়। প্রতিদিন সকাল ৭টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত সকালের নাশতার পর্ব চলে। তবে এ খাবারগুলো সব সময়ই পাওয়া যায়।পুরান ঢাকার নর্থব্রুক হল রোডে ছোট্ট একটি দোকান চৌরঙ্গী রেস্টুরেন্ট। স্থানীয় ব্যক্তিদের কাছে বেশ জনপ্রিয়। দোকানের কর্মচারী মো. ইউসুফ ১৯৯৬ সাল থেকে এখানে কাজ করেন। তিনি বলেন, দোকানের বয়স প্রায় ৯০ বছর হবে। সকালে নাশতা খেতে অনেকেই আসেন। এখানে পাওয়া যাবে লুচি, ডাল, ডিমের মামলেট আর চা। ১৪ থেকে ৩৫ টাকায় একজনের খাওয়া হয়ে যাবে। সকাল ৭টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত সকালের নাশতা পাওয়া যায়। নয়টা থেকে ভিড় বেড়ে যায়।ক্রাম্প চপের জন্য বিখ্যাত ক্যাফে কর্নারেও সকালের নাশতার জন্য ভালোই ভিড় জমে। গোলাম মাওলা ১০ বছর ধরে এ দোকানে আসেন। বললেন, ‘এখানেই খাওয়া পড়ে বেশি।’ লুচি-পরোটা, ডাবল ডিম পোচ, ডাল, ভাজি ও মুরগির গিলা-কলিজা পাওয়া যায়। ব্যবস্থাপক অনিল মিত্র বলেন, ২৫ থেকে ৫০ টাকায় নাশতা হয়ে যায়। এটিও নর্থব্রুক হল রোডে অবস্থিত।অপু তালুকদার কলকাতা থেকে আসা তাঁর এক আত্মীয়কে নিয়ে সকালের নাশতা খেতে বের হয়েছিলেন। সোজা চলে এসেছেন হোটেল আল-রাজ্জাক অ্যান্ড রেস্টুরেন্টে। নিজে ১৭ বছর ধরে এখানে নাশতা করেন। তাই ভিনদেশি স্বজনকেও সেখানে নিয়ে এসেছেন। বললেন, ‘এখানকার ডাইল-গোশতের তুলনা নাই।’ বংশাল রোডের আল-রাজ্জাক পুরান ঢাকার খাবারের জন্য এমনিতেই জনপ্রিয়। সময়মতো না গেলে অনেক খাবারই পাওয়া যায় না। গত বুধবার সকাল সাড়ে নয়টায় গিয়ে দেখা যায়, খাসির পায়া শেষ। অনেক খাবারই ততক্ষণে শেষ হয়ে গেছে। খাবার পরিবেশনকারী তোফাজ্জল হোসেন বলেন, সবচেয়ে বেশি চাহিদা খাসির পায়া, স্যুপ ও খিচুড়ির। প্রতি শুক্রবার পাওয়া যায় স্পেশাল তেহারি। ৪০ থেকে ৫০০ টাকায় এখানে রকমভেদে সকালের নাশতা পাওয়া যায়। আল-রাজ্জাকে পছন্দমতো খেতে হলে সকাল নয়টার আগে যেতে হবে। সকালের নাশতার জন্য জনসন রোডের স্টার হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট, জয়কালী মন্দিরের হোটেল সুপার লিমিটেড, নাজিরা বাজারের হাজির বিরিয়ানি এবং লালবাগের রয়েল রেস্টুরেন্টও বেশ জনপ্রিয়। এ ছাড়া পুরান ঢাকার অলিগলিতে প্রায় সব ধরনের খাবার হোটেলেই রকমফেরে সকালের নাশতা পাওয়া যায়।
249,024
অনলাইন ডেস্ক
sports
খেলা
২০ সেপ্টেম্বর ২০১৩, ১২:২৯
২০ সেপ্টেম্বর ২০১৩, ১২:৩১
আন্তর্জাতিক ফুটবল
null
ব্রাজিলের একমাত্র আশা নেইমার: রোমারিও
http://www.prothom-alo.com/sports/article/48955
তারকার অভাব ব্রাজিল দলে কখনোই ছিল না। একের পর এক সব বিস্ময়কর ফুটবলার উপহার দিয়ে গেছে ব্রাজিল। এমনও বলা হয়, কফির চেয়ে নাকি ফুটবলার রপ্তানি করেই বেশি আয় করে দেশটি।হুট করে কী যে হলো, ব্রাজিল থেকে সেই উঠে আসা তারকার স্রোত এখন ক্ষীণধারা। ব্রাজিলের এই দলটার ভার এখন ২১ বছর বয়সীর একটি ছোট্ট কাঁধে। রোমারিওও বলছেন, আগামী বিশ্বকাপে ব্রাজিলের একমাত্র আশা নেইমার। ব্রাজিল নিজ দেশে বিশ্বকাপ জিততে পারবে কি না, সেটি অনেকটাই নির্ভর করবে নেইমার ফর্ম আর ফিটনেসের ওপর।ব্রাজিলের ১৯৯৪ বিশ্বকাপের নায়ক বলছেন, ‘নেইমার আমাদের সেরা খেলোয়াড়। সে এখন বিশ্বের অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এক লিগে খেলছে। সে আমার আশা, সে ব্রাজিলের আশা।’বয়স কম হলেও এখনই যে ব্রাজিলের ভার বইতে তিনি প্রস্তুত, নেইমার সেটা প্রমাণ করে দিয়েছেন। বিশ্বকাপের মহড়া টুর্নামেন্ট ছিল তাঁর আলোয় উদ্ভাসিত। ওই টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় হয়েছিলেন তিনি। ওই বিশ্বকাপে ব্রাজিলের নায়ক ছিলেন আরেকজন—লুইজ ফেলিপে স্কলারি। মানো মেনেজেসের কাছ থেকে দায়িত্ব নিয়ে দ্রুতই দলটাকে একসুতোয় গেঁথেছেন ২০০২ বিশ্বকাপজয়ী এই কোচ।মেনেজেসকে ছাঁটাই করে স্কলারিকে দায়িত্ব দেওয়ার বিরুদ্ধে সবচেয়ে সোচ্চার ছিলেন রোমারিওই। নিজের ভুলটা স্বীকার করে এখন স্কলারিকে প্রাপ্য ধন্যবাদ দিতে কোনো কুণ্ঠা নেই তাঁর, ‘কনফেডারেশনস কাপের আগে সবচেয়ে বড় সমালোচকদের একজন ছিলাম আমি। তবে আমাকে বলতেই হবে, তিনিই আমাদের দলটাকে চ্যাম্পিয়ন বানিয়েছেন।’
17,950
আশীষ-উর-রহমান
bangladesh
বাংলাদেশ
২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, ০২:০৫
২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, ০২:০৬
-1
0
বসন্ত–বৃষ্টিতে ভিজল মেলা
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/457099
প্রবল ঝোড়ো হাওয়ার ঝাপটা, সঙ্গে বৃষ্টি। শুরু হয়েছিল বুধবার মধ্যরাতে হঠাৎ। তার রেশ বৃহস্পতিবার সকালেও। শুকনো ধুলো গলে হলো কাদা। খানাখন্দে জমে থাকল ঘোলা পানি। সারা শহরের যে দৃশ্য, বইমেলাও তার চেয়ে আলাদা নয়। বসন্তের প্রথম বৃষ্টি পরিবেশ খানিকটা আর্দ্র-কোমল করে তুললেও প্রকাশকদের অনেকে লোকসানের মুখে পড়েছেন বিস্তর বই ভিজে যাওয়ায়। বিকেলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের অংশে গিয়ে দেখা গেল, চন্দ্রাবতী একাডেমি, গতি, শিল্পতরুসহ অনেক প্রকাশনীর স্টলের সামনে ভিজে যাওয়া বই রোদে শুকাতে দেওয়া হয়েছে। বেঙ্গল পাবলিশার্সের স্টলের অর্ধেক অংশ খালি করে রাখা। প্রকাশকেরা সকালে এসেই স্টল থেকে ভেজা বইগুলো মাঠে শুকাতে দেন। যাঁদের বেশি সংখ্যায় বই ভিজেছে, সূর্য ডোবার আগ পর্যন্ত সেগুলো মাঠে বিছিয়ে রেখেছিলেন তাঁরা। মেলার মাঠে যদিও বালু ছড়ানো হয়েছিল, তবে তা অপর্যাপ্ত। স্টল-প্যাভিলিয়নের সামনে বালু দিয়ে পানি শুকিয়ে ফেলা হলেও মাঠের অনেক জায়গাতেই পানি জমে ছিল। পা পিছলানো থেকে রক্ষা পেতে বেশ সতর্কতার সঙ্গে চলতে হয়েছে মেলায় আসা গ্রন্থানুরাগীদের। মেলা ঘুরে দেখা গেল, কমবেশি শ খানেক স্টলের বই ভিজেছে। তবে স্থাপনার তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি। বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান গতকাল বিকেলে সাংবাদিকদের এ প্রসঙ্গে বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগের ওপর কারও হাত নেই। মেলার অবকাঠামো বেশ শক্তপোক্ত করেই তৈরি করা হয়েছে। দুর্যোগ সম্পর্কে আগে থেকে যাঁরা সতর্ক ছিলেন, স্টল বন্ধ করার সময় বইগুলোর সুরক্ষার ব্যবস্থা করেছেন। তাঁদের ক্ষতি হয়নি। লেখালেখি খণ্ডকালীন কাজ নয়: সন্ধ্যায় কথা হলো বিশিষ্ট সাহিত্যিক সৈয়দ শামসুল হকের সঙ্গে। স্ত্রী লেখিকা আনোয়ারা সৈয়দ হকও তাঁর সঙ্গে ছিলেন। মেলায় প্রকাশিত বইয়ের মান সম্পর্কে তিনি বললেন, ‘যত বই প্রকাশিত হচ্ছে তার মধ্যে মানসম্মত বই অল্প, এটা ঠিক। লেখালেখি সারা জীবনের কাজ। এটা খণ্ডকালীন কাজ নয়, অবসরের কাজও নয়। তরুণ লেখকদের মধ্যে প্রচুর প্রাণশক্তি আছে, নতুন কিছু করার আগ্রহ আছে। তবে এর সঙ্গে গভীর অধ্যবসায়, নিষ্ঠা, শ্রম ও চর্চা নিযুক্ত করতে হবে। সাহিত্য নদীর মতো। এর বাঁক ফেরানোর জন্য তারুণ্যের প্রাণশক্তির প্রয়োজন। শুধু মৌসুমভিত্তিক লেখালেখি করলে হবে না। এ কারণেই মান উন্নত হচ্ছে না।’ এবার মেলায় তাঁর উপন্যাস কুয়াশায় সাদা ঘোড়া ও জলেশ্বরী নিয়ে গল্পগ্রন্থ এসেছে পাঠক সমাবেশ থেকে। এ ছাড়া এসেছে একটি প্রবন্ধ ও একটি কবিতার বই। প্রকাশকদের উষ্মা: শিশুতোষ বই মূল মেলা থেকে আলাদা করে একাডেমির মাঠে কর্নার করায় উষ্মা প্রকাশ করেছেন প্রকাশকেরা। সময় প্রকাশনের ফরিদ আহমেদ, অনুপমের মিলন কান্তি নাথ, ইত্যাদির জহিরুল আবেদিনসহ অনেকেই বললেন, প্রতিটি বড় প্রকাশনারই শিশুতোষ বই রয়েছে। বিশেষ করে দেশের প্রখ্যাত লেখকদের শিশুতোষ রচনা, রচনাসম্ভার, শ্রেষ্ঠ রচনার সংকলন তাঁরা প্রকাশ করেছেন। অথচ শিশু কর্নারে এই বইগুলো নেই। সেখানে প্রধানত বিক্রি হচ্ছে কার্টুনের বই। এতে শিশুরা মানসম্মত শিশুসাহিত্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। প্রথমার বই: গতকাল প্রথমা প্রকাশনের স্টলে নতুন এসেছে বিশিষ্ট ছড়াকার আখতার হুসেনের ছড়ার বই এক ঘড়া ছড়া। এর প্রচ্ছদ ও ভেতরে রংবেরঙের ছবিগুলো এঁকেছেন শিল্পী রফিকুন নবী। স্টলের বিক্রেতারা জানালেন, গতকাল যে বইগুলো বেশি বিক্রি হয়েছে তার মধ্যে ছিল মশিউল আলমের রাজনৈতিক উপন্যাস দ্বিতীয় খুনের কাহিনি, মঈনুস সুলতানের ভ্রমণকাহিনি সোয়াজিল্যান্ড রাজা প্রজা পর্যটক, শেখ আবদুল হাকিমের রোমাঞ্চ উপন্যাস জিপসি জাদু, উৎপল শুভ্রর ক্রীড়াবিষয়ক শচীন রূপকথা ও রফিক-উম-মুনীর চৌধুরী অনূদিত গাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেসের উপন্যাস কর্নেলকে কেউ লেখে না। নতুন বই: গতকাল মেলায় তথ্যকেন্দ্রের হিসাবে নতুন এসেছে ৭৭টি নতুন বই। উল্লেখযোগ্য বইগুলোর মধ্যে ছিল সংঘ প্রকাশনের ড. রাধাগোবিন্দ বসাক অনূদিত কৌটিলীয় অর্থশাস্ত্র (অখণ্ড), কৃষ্ণচূড়া থেকে বানানবিষয়ক ড. বেগম জাহান আরার প্রমিত বাংলা বানান, ভিন্ন চোখ থেকে মঈন চৌধুরীর কবিতা চিত্রে লেখায় নার্সিসাস, অনিন্দ্য থেকে ফজল-এ-খোদার গল্প সালাম সালাম হাজার সালাম, আনজীর লিটনের ছোটদের গল্পসমগ্র-১, যুব জাগরণ থেকে মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরীর প্রবন্ধ বঙ্গবন্ধু ও ভাষা আন্দোলন, অ্যাডর্ণ থেকে রফিকুল হকের মজার পড়া ১০০ ছড়া, মিজানুর রহমান আফরোজের শিল্পবিষয়ক বাংলাদেশের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প ইত্যাদি।মেঘ কেটে গিয়ে রোদ উঠেছিল কাল দুপুরেই। রৌদ্রকরোজ্জ্বল দিনে মেলায় বেচাকেনাও বেড়েছিল। এই ধারা শেষাবধি চলবে এ আশায় আছেন প্রকাশকেরা।
116,947
-1
bangladesh
বাংলাদেশ
২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫, ০১:১৬
২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫, ০২:২৪
খবর
0
এমট্যাবের উদ্বেগ
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/639328
অনুমোদিত অষ্টম জাতীয় পে-স্কেলে টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড বাতিল করায় উদ্বেগ ও ক্ষোভ জানিয়ে তা পুনর্বহালের দাবি জানিয়েছে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এমট্যাব)। গতকাল এমট্যাবের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের কোনো পদোন্নতিযোগ্য পদ না থাকলেও টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড থাকার কারণে আগে আর্থিক সুবিধা পেতেন তাঁরা। কিন্তু নতুন পে-স্কেলে সেই আর্থিক সুবিধা থেকেও বঞ্চিত হবেন তাঁরা। এ অবস্থায় ওই গ্রেড পুনর্বহাল না করলে পেশার স্বার্থে আন্দোলন কর্মসূচি ডাক দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন এমট্যাব নেতারা।
171,347
-1
entertainment
বিনোদন
১২ জুলাই ২০১৫, ০০:৩১
১২ জুলাই ২০১৫, ০০:৩২
বিনোদন
0
abc আজকের আয়োজন
http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/575536
রয়েল টাইগার ড্রিংক প্রেজেন্টস যাহা বলিব সত্য বলিবআরজে কিবরিয়ার সঙ্গে রাত ১১টা ২০ মিনিটথেকে ২টা
152,364
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ২০:২২
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ২০:২৪
নারায়ণগঞ্জ,ঢাকা বিভাগ,অপরাধ
null
নিখোঁজের দুই ঘণ্টা পর স্কুলছাত্রের লাশ উদ্ধার
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/774505
নারায়ণগঞ্জ শহরের চর সৈয়দপুর কড়ইতলী থেকে নিখোঁজের দুই ঘণ্টা পর প্রণব বসু (৬) নামের এক স্কুলছাত্রের লাশ উদ্ধার করেছে সদর থানার পুলিশ। প্রণব সৈয়দপুর বঙ্গবন্ধু হাইস্কুলের প্রথম শ্রেণির ছাত্র ছিল। আজ শুক্রবার বিকেল পাঁচটার দিকে স্কুলের পাশ থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়। প্রণবের বাবা রাম বসু বলেন, আজ দুপুর তিনটার দিকে প্রণব বাসা থেকে বের হয়। দীর্ঘ সময় পরেও ফিরে না আসায় তারা প্রণবকে খুঁজতে বের হয়। বিকেল পাঁচটার দিকে শহরের চর সৈয়দপুর কড়ইতলী এলাকায় প্রণবের স্কুলের পেছনে তার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন তারা। পরে সন্ধ্যা ছয়টায় সদর থানা-পুলিশ সেখান থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। প্রণবের নাক-মুখ দিয়ে রক্তক্ষরণ হয়েছে।নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল মালেক বলেন, প্রণবের শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়া গেলে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলা যাবে। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
203,024
বিশাল বাংলা ডেস্ক
bangladesh
বাংলাদেশ
১৭ আগস্ট ২০১৬, ০০:২৪
১৭ আগস্ট ২০১৬, ০০:২৬
ময়মনসিংহ,বিশাল বাংলা,নিকলী,কিশোরগঞ্জ,সিলেট বিভাগ,দুর্ঘটনা
0
সড়ক দুর্ঘটনায় শিশুসহ তিনজন নিহত, আহত ৬
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/948358
ময়মনসিংহ সদর ও তারাকান্দা উপজেলায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় এক শিশুসহ দুজন নিহত ও তিনজন হয়েছেন। কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলায় মোটরসাইকেলের ধাক্কায় নিহত হয়েছেন এক নারী। এ ছাড়া সিলেটে বাসের ধাক্কায় রিকশাযাত্রী মা-ছেলেসহ তিনজন আহত হয়েছেন।গত সোমবার ও গতকাল মঙ্গলবার এসব ঘটনা ঘটে। ঢাকার বাইরে প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক, আঞ্চলিক কার্যালয় ও প্রতিনিধির পাঠানো খবর:ময়মনসিংহ: তারাকান্দা থানার পুলিশ জানায়, গতকাল সকাল আটটার দিকে উপজেলার রূপচন্দ্রপুর এলাকায় শিশু মাহিন (৬) তার বাবার সঙ্গে ময়মনসিংহ-শেরপুর মহাসড়ক পার হচ্ছিল। এ সময় মাহিনকে একটি ট্রাক চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। শিশুটির বাড়ি তারাকান্দা উপজেলার রূপচন্দ্রপুর গ্রামে। বাবার নাম শহীদুল ইসলাম।কোতোয়ালি মডেল থানার পুলিশ জানায়, গতকাল সকাল ১০টার দিকে ময়মনসিংহ সদরের চুরখাই এলাকায় যাত্রীবাহী বাস একটি টেম্পোকে ধাক্কা দেয়। এতে টেম্পোচালক মো. সোহেল (৩০) ও যাত্রী দীপা, সানোয়ার হোসেন ও হেলাল উদ্দিন আহত হন। গুরুতর অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে সোহেল মারা যান। তাঁর বাড়ি ময়মনসিংহ সদর উপজেলার চুরখাই এলাকায়। আহত অন্য ব্যক্তিরা একই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।এদিকে সোহেলের মৃত্যুর খবর জানার পর বিক্ষুব্ধ লোকজন সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।নিকলী(কিশোরগঞ্জ): পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, নিকলী উপজেলার পাঁচরুখী গ্রামের বিল্লাল মিয়ার স্ত্রী অহিদা বানু (৫৫) সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে বাড়িসংলগ্ন রাস্তা পার হচ্ছিলেন। এ সময় একটি মোটরসাইকেল তাঁকে ধাক্কা দেয়। গুরুতর আহত অহিদাকে প্রথমে নিকলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে বাজিতপুরে জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে, সেখান থেকে রাতেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল ভোরে মারা যান অহিদা।এ ব্যাপারে নিকলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুঈদ চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, মোটরসাইকেলটির চালক শামীম মিয়াকে ধরে পুলিশে দিয়েছেন এলাকাবাসী। তাঁকে পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়েছে।সিলেট: পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, নগরের লামাবাজারে মণিপুরি মহল্লার বাসিন্দা শিবানী সিংহ ছেলে প্রান্তিক সিংহকে বিদ্যালয় থেকে নিয়ে রিকশাযোগে বাসায় ফিরছিলেন। গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রিকাবীবাজার মোড়ে পৌঁছালে রিকশাটিকে ধাক্কা দেয় লিডিং ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের বহনকারী একটি বাস। এতে মা-ছেলে ও রিকশাটির চালক আহত হন। তাঁদের উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।আহত প্রান্তিকের বাবা রণজিৎ সিংহ সিলেটের প্রাচীনতম বাংলা দৈনিক যুগভেরীর ফটোসাংবাদিক।এদিকে দুর্ঘটনার পর বিক্ষুব্ধ জনতা বাসটিকে ঘেরাও করে রাখে। পরে পুলিশ গিয়ে চালককে আটক করলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।কোতোয়ালি থানার ওসি সোহেল আহমদ বলেন, দুর্ঘটনায় আহত ব্যক্তিদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মামলা করা হবে।
250,700
নরসিংদী প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৪, ০১:২০
০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৪, ০১:২৭
নরসিংদী,দুর্ঘটনা,ঢাকা বিভাগ
0
নরসিংদীতে প্রশিক্ষণ বিমানের দুটি অয়েল ট্যাংকার মাটিতে
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/314332
নরসিংদীর রায়পুরায় বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর উড়ন্ত একটি প্রশিক্ষণ বিমানের দুটি অতিরিক্ত অয়েল ট্যাংকার মাটিতে পড়ে গেছে। উপজেলার ডৌকারচর ইউনিয়নের কাসিমনগর ও পিবিনগর গ্রামে গতকাল সোমবার বেলা ১১টায় এ ঘটনা ঘটে। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি।পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, পাশাপাশি দুটি প্রশিক্ষণ বিমান উড়ে যাচ্ছিল। হঠাৎ একটি বিমান থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়। ওই সময় বিমানটি থেকে বিকট শব্দে পাইপের মতো দুটি বস্তু মাটিতে পড়ে। এর মধ্যে একটি কাসিমনগর গ্রামের পূর্বপাড়ায় একটি বসতবাড়ির পাশে এবং অপরটি প্রায় ৫০০ গজ দূরে পিবিনগর গ্রামের কৃষিজমিতে পড়ে।খবর পেয়ে বেলা পৌনে চারটায় বিমানবাহিনীর ওয়ারেন্ট কর্মকর্তা শিহাব উদ্দিনের নেতৃত্বে একটি দল ঘটনাস্থলে যায়।রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মিজানুর রহমান বিমানবাহিনীর উইং কমান্ডার এনামুল হকের বরাত দিয়ে প্রথম আলোকে বলেন, আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। ওই প্রশিক্ষণ বিমানটি জরুরি ভিত্তিতে ঢাকার তেজগাঁওয়ে অবতরণ করেছে।
91,707
অনলাইন ডেস্ক
technology
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
০২ জুন ২০১৫, ১২:৫৮
০২ জুন ২০১৫, ১৩:০১
খবরাখবর
null
জিমেইল ব্যবহারকারী সংখ্যা ৯০ কোটি
http://www.prothom-alo.com/technology/article/543973
গুগলের মেইল সেবা জিমেইল ব্যবহারকারী সংখ্যা ৯০ কোটি ছাড়িয়ে গেছে। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে গুগলের বার্ষিক সম্মেলনে ৯০ কোটি সক্রিয় জিমেইল ব্যবহারকারীর তথ্য জানিয়েছেন গুগলের জ্যেষ্ঠ ভাইস প্রেসিডেন্ট সুন্দর পিশাই। প্রযুক্তি বিষয়ক ওয়েবসাইট টেকক্রাঞ্চ এক খবরে এ তথ্য জানিয়েছে।সুন্দর পিশাইকে উদ্ধৃত করে টেক ক্রাঞ্চ লিখেছে, বর্তমানে জিমেইলের যে পরিমাণ সক্রিয় ব্যবহারকারী রয়েছেন তার মধ্যে ৭৫ শতাংশই মোবাইল ফোন থেকে জিমেইল ব্যবহার করার সুবিধা গ্রহণ করেন।মাত্র তিন বছরের মধ্যেই জিমেইল ব্যবহারকারীর সংখ্যা দ্বিগুণের বেশি হয়েছে। ২০১২ সালে সাড়ে ৪২ কোটি মানুষ জিমেইল ব্যবহার করত। সেখানে চলতি বছরেই জিমেইল ব্যবহারকারী সংখ্যা ৯০ কোটি ছাড়িয়ে গেছে। যুক্তরাষ্ট্রেও জনপ্রিয় মেইল সেবা হটমেইলকেও (এখন আউটলুক ডটকম) ছাড়িয়ে গেছে জিমেইল।
143,960
সিলেট প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
২৪ অক্টোবর ২০১৬, ০১:৪৬
২৪ অক্টোবর ২০১৬, ০১:৪৭
মহানগর
0
প্রস্তুতি সভা
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1006319
ক্রীড়া ক্ষেত্রে জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত কিংবদন্তিতুল্য ফুটবলার রণজিত দাসের ৮৫তম জন্মদিন উদ্যাপনের লক্ষ্যে গতকাল বেলা দেড়টায় নগরের বারুতখানা এলাকায় প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সময় উদ্যাপন পর্ষদের সদস্যসচিব আবদুর রশিদ, সম্মিলিত নাট্য পরিষদ সিলেটের সাধারণ সম্পাদক রজতকান্তি গুপ্ত, চিত্রশিল্পী অরূপ বাউল, নৃত্যশিল্পী বিপুল শর্মা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। ২৯ অক্টোবর নগরের রিকাবীবাজার এলাকার সিলেট জেলা স্টেডিয়ামের মোহাম্মদ আলী জিমনেসিয়ামে জন্মদিনের এ অনুষ্ঠান হবে। অনুষ্ঠান উপলক্ষে সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সুপ্রিয় চক্রবর্তীকে আহ্বায়ক করে ১৭১ সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
258,791
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
bangladesh
বাংলাদেশ
২৯ মার্চ ২০১৮, ১৯:৩৮
২৯ মার্চ ২০১৮, ১৯:৪৬
দুদক
null
‘মন্ত্রী কিছু করতে পারবেন না, এটা কেমন কথা?’
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1459681
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কমিশনার নাসির উদ্দীন আহমেদ বলেছেন, ‘চট্টগ্রামের ডা. খাস্তগীর বালিকা উচ্চবিদ্যালয় ভালো মানের মেয়েদের একটি স্কুল। এই স্কুলের আশপাশে প্রায় ১০০ কোচিং সেন্টার রয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ মহোদয় অসহায়ত্ব প্রকাশ করলেন। সরকারের একজন মন্ত্রী, কিছু করতে পারবেন না। এটা কেমন কথা?’বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে শ্রেষ্ঠ জেলা ও উপজেলা কমিটির পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে দুদক কমিশনার নাসির উদ্দীন আহমেদ এ মন্তব্য করেন। দুদকের আয়োজনে দুর্নীতি প্রতিরোধে শ্রেষ্ঠ জেলা ও উপজেলা কমিটির পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন তিনি।দুর্নীতি দমন কমিশনের চট্টগ্রামের পরিচালক মো. আক্তার হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. ইকবাল বাহার ও চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াস হোসেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মহানগর দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মনোয়ারা হাকিম আলী ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সিরাজুল ইসলাম।নাসির উদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘দুদক যতটা সম্ভব কাজ করে যাবে। দুদকের শক্তি জনগণ। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমরা প্রতিটি সেক্টরে দুর্নীতি প্রতিরোধ করব। যদিও আমাদের মধ্যে সমস্যা রয়েছে। এরপরও আমরা কাজ করে যাচ্ছি, সফলতা আসবেই।’দুদক কমিশনার বলেন, ‘ভবিষ্যৎ প্রজন্মের লেখাপড়ার কী অবস্থা—এ বিষয়ে আমরা শিক্ষামন্ত্রী মহোদয়ের কাছে সুনির্দিষ্ট কিছু প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলতেন, যাদের ট্যাক্সের (কর) পয়সায় আমার সংসার চলে, তাদের সেবা দিতে হবে। অনেকে বলেন, আমি পিএইচডি করেছি, আমি মাস্টার্স করেছি। আমি অমুক, আমি তমুক। আপনি এখন বড় পদে আছেন। আসলে পরিচয় দিয়ে কী হবে? তাতে জনগণের কী লাভ হয়েছে? এ বিষয়গুলো ভেবে দেখতে হবে।’দুদক কমিশনার নাসির উদ্দীন বলেন, ‘আমরা অনেকেই সহধর্মিণীর (স্ত্রী) দ্বারা প্রভাবিত হয়ে দুর্নীতি করি। আমাদের ভেতরও কিছু সমস্যা আছে। আমরা যদি ঠিকমতো অফিস না করি, এটাও দুর্নীতি। এ ব্যাপারে আমাদের সজাগ থাকা উচিত। ভালো কাজ করতে আমাদের চেষ্টা থাকতে হবে।’এ বছর দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির শ্রেষ্ঠ জেলা হিসেবে খাগড়াছড়ি এবং শ্রেষ্ঠ উপজেলা হিসেবে বাঁশখালী, চকরিয়া ও লাকসাম মনোনীত হয়। শ্রেষ্ঠ জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের পুরস্কার তুলে দেন দুদক কমিশনার নাসির উদ্দীন আহমেদ।
359,341
-1
sports
খেলা
২৮ নভেম্বর ২০১৫, ০১:৪৮
২৮ নভেম্বর ২০১৫, ০১:৫১
খেলা,আন্তর্জাতিক ক্রিকেট
null
অশ্বিন-বচন
http://www.prothom-alo.com/sports/article/696610
কেউ কেউ বলছেন, উইকেটটা একেবারে ‘নারকীয়’। আবার কেউ বলছেন, টেস্ট ক্রিকেটের জন্যই এটা লজ্জা। তবে নাগপুর টেস্টে ১২ উইকেট নেওয়া রবিচন্দ্রন অশ্বিনের এসব নিয়ে ভাবতে বয়েই গেছে। এই উইকেট নিয়ে এত কথা! কিন্তু বিদেশের উইকেটে যখন সুইং-পেসে ব্যাটসম্যানদের নাভিশ্বাস ওঠে, তখন তো কেউ কিছু বলে না? অশ্বিন সেটিই মনে করিয়ে দিয়েছেন। জোহানেসবার্গে খেলার সময় তো তিনি কোনো অভিযোগ করেননি। এক বছর দলের বাইরেও ছিলেন। অশ্বিন ভোলেননি ট্রেন্ট ব্রিজের উইকেট যেখানে প্রায় দুই দিনেই শেষ হয়ে গেছে টেস্ট। তখন ব্যাটসম্যানদের টেকনিক নিয়ে কথা হয়েছে, পিচ নিয়ে কিন্তু এত কথা হয়নি। স্পিনিং উইকেটে কী সমস্যা, সেটাও বুঝে উঠতে পারছেন না নাগপুর টেস্টের ম্যাচসেরা বোলার। সরাসরি কিছু বলেননি, কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকাকে পরোক্ষে জানিয়ে দিলেন, ‘নাচতে না জানলে উঠোন বাঁকা’ই মনে হয়! টাইমস অব ইন্ডিয়া।
178,529
-1
international
আন্তর্জাতিক
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪, ০০:৩১
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪, ০০:৩১
ইউরোপ
null
ইয়ানুকোভিচ অপসারিত
http://www.prothom-alo.com/international/article/154312
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভিক্তর ইউনুকোভিচ বিদায় নিয়েছেন। তাঁর স্থলে আপাতত দায়িত্ব পালন করছেন স্পিকার ওলেকসান্দার তারচিনভ। গতকাল রোববার পার্লামেন্টে জরুরি অধিবেশনে তিনি আগামীকাল মঙ্গলবারের মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করতে পার্লামেন্ট সদস্যদের (এমপি) প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।গত শনিবার প্রেসিডেন্ট ভিক্তর ইয়ানুকোভিচকে সরিয়ে দেওয়ার পক্ষে ভোট দেন পার্লামেন্ট সদস্যরা। একই সঙ্গে তাঁদের ভোটে মুক্তি পেয়েছেন কারাবন্দী সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইউলিয়া তিমোশেঙ্কো।গতকাল পার্লামেন্টের অধিবেশনে অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট ও স্পিকার বলেন, ‘নতুন সরকার গঠনই এখন প্রথম ও প্রধান কাজ।’বিরোধী দলের নেতা ভিতালি ক্লিৎচকো গতকাল পার্লামেন্টে বলেন, সরকার গঠনের জন্য আমাদের হাতে খুব বেশি সময় নেই। আগাম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য ২৫ মে তারিখ নির্ধারণ করা হতে পারে। তিনি আরও বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে ইউক্রেনকে ইউরোপের আধুনিক একটি দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।’ইয়ানুকোভিচ পার্লামেন্টের সিদ্ধান্তকে তাঁর বিরুদ্ধে ‘অভ্যুত্থান’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে ইয়ানুকোভিচ বলেন, তিনি পদত্যাগ করেননি, দেশও ছাড়েননি। তাই তিনিই দেশের বৈধ প্রেসিডেন্ট। পার্লামেন্ট তাঁর বিরুদ্ধে ভোট দিয়ে ‘অবৈধ’ কাজ করেছে। তিনি একে তিরিশের দশকে নাৎসি বাহিনীর জার্মানির ক্ষমতা গ্রহণের সঙ্গেও তুলনা করেন।গত শনিবার থেকে ইয়ানুকোভিচের অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না। প্রেসিডেন্টের কার্যালয় ও বাসভবন গত শনিবার থেকে ফাঁকা। তবে সাক্ষাৎকার প্রচারকারী টেলিভিশন দাবি করেছে, উত্তর-পূর্বাঞ্চলের খারকিভ শহরে ইয়ানুকোভিচের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে।ইয়ানুকোভিচের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত তাঁর দলের নেতা ওলেহ সারয়োভ বলেন, ‘আমাদের জীবিত ও বৈধ একজন প্রেসিডেন্ট আছেন। তবে এই মুহূর্তে তিনি কোথায় আছেন, তা নিশ্চিত নই।’ ইয়ানুকোভিচ ও তাঁর ঘনিষ্ঠরা পার্লামেন্টের সিদ্ধান্তকে ‘অবৈধ’ বললেও মন্ত্রিসভা অন্তর্বর্তী সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরে প্রস্তুত রয়েছে।ইউক্রেনের সাবেক প্রধানমন্ত্রী তিমোশেঙ্কো শনিবার রাতে মুক্তি পেয়ে কিয়েভের ইনডিপেনডেন্স স্কয়ারে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে যোগ দেন। হুইলচেয়ারে বসেই সমর্থকদের উদ্দেশে আবেগঘন বক্তৃতা করেন তিনি। তিমোশেঙ্কো বিক্ষোভকারীদের ‘নায়ক’ বলে অভিহিত করে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান।তিমোশেঙ্কো বলেন, ‘আপনাদের আন্দোলনের উদ্দেশ্য পূরণ না হওয়া পর্যন্ত এই স্কয়ার ছেড়ে যাবেন না...সেই অধিকার কারও নেই। ইয়ানুকোভিচের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘আমরা এই ক্যানসার অপসারণ করতে পেরেছি।’২০১১ সাল থেকে কারাভোগ করছিলেন তিমোশেঙ্কো। ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে সাত বছরের কারাদণ্ড হয়েছিল তাঁর। তাঁর দলের অভিযোগ, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে তাঁকে শাস্তি দেওয়া হয়।গত বছরের নভেম্বরে শুরু হওয়া ইয়ানুকোভিচবিরোধী আন্দোলনের মূল কেন্দ্র ছিল ইনডিপেনডেন্স স্কয়ার। বিবিসি ও রয়টার্স।
53,860
কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ০২:১৬
০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ০২:১৭
বিশাল বাংলা
0
শিশুদের মধ্যে কম্বল বিতরণ
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/756598
মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী পালকিছড়া চা-বাগানে একটি খ্রিষ্টান মিশনের ২৫৩টি শিশুর মধ্যে দুটি করে মোট ৫০৬টি কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। গতকাল বেলা ১১টায় পালকিছড়া চা-বাগানে চাইল্ড ডেভেলপমেন্ট স্পনসরশিপ প্রোগ্রাম (সিডিএসপি) বিডি-৪০৯ খ্রিষ্টান মিশনে এসব কম্বল বিতরণ করা হয়। পালকিছড়া চা-বাগানের এ খ্রিষ্টান মিশনে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা ২৫৩ শিশু বসবাস করে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করছে।
197,649
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
০৪ আগস্ট ২০১৫, ০২:১৮
০৪ আগস্ট ২০১৫, ০২:২১
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়,রাজনীতি
null
ছাত্রলীগের কমিটি থেকে ৭৯ নেতা-কর্মীর পদত্যাগ
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/593089
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কমিটি থেকে ৭৯ জন নেতা-কর্মী পদত্যাগ করেছেন। গতকাল সোমবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে তাঁরা পদত্যাগের ঘোষণা দেন এবং সাংবাদিকদের সামনে দপ্তর সম্পাদক আতিক শাহরিয়ারের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন।সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সম্পাদকের বিরুদ্ধে ক্যাম্পাসে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, ছাত্রীদের হয়রানি, শিক্ষকদের লাঞ্ছিত করাসহ সংগঠনবিরোধী বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের অভিযোগ এনে তাঁদের ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন পদত্যাগ করা নেতা-কর্মীরা। পদত্যাগ করা নেতাদের মধ্যে একজন সহসভাপতি, তিনজন যুগ্ম সম্পাদক, তিনজন সাংগঠনিক সম্পাদক ছাড়াও বিভিন্ন হল ইউনিটের ১২ জন নেতা রয়েছেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সদ্য পদত্যাগ করা যুগ্ম সম্পাদক খন্দকার তায়েফুর রহমান।লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ২০১৩ সালের ৮ মে পদ পাওয়ার পর থেকেই ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলের জন্য ছাত্রলীগের আদর্শ থেকে বিচ্যুত হয়ে ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতি মুর্শেদুজ্জামান খান ওরফে বাবু এবং সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলামসহ উচ্চপর্যায়ের কয়েকজন নেতা ক্যাম্পাসে সন্ত্রাস, মাদক, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, ছাত্রী হয়রানি, শিক্ষকদের লাঞ্ছিত করাসহ সংগঠনবিরোধী বিভিন্ন কাজ করে আসছেন। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের অনুগত নেতা-কর্মীরা শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং বিশ্ববিদ্যালয়-সংলগ্ন এলাকাবাসীকে নির্যাতন করছেন। এর দায়ভার কমিটির অন্য সদস্যরা নিতে পারেন না। তাই তাঁরা স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করছেন।লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, সভাপতি-সম্পাদকসহ অনেক নেতার বিরুদ্ধে চারটি পৃথক মামলা রয়েছে। এরই মধ্যে সাতজন নেতা কারাগারে রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে পুলিশের করা অস্ত্র মামলায় গ্রেপ্তার সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম রয়েছেন। এ ছাড়া ১০ জন নেতা পলাতক রয়েছেন। সভাপতি-সম্পাদকসহ মামলার আসামি ওই নেতাদের ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হলো।ছাত্রলীগের বর্তমান এই কমিটির মেয়াদ পার হয়ে গেছে। সংবাদ সম্মেলনে পদত্যাগ করা নেতা-কর্মীরা মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে নতুন কমিটি গঠনের দাবি জানান।ক্যাম্পাসের বাইরে অবস্থান করায় এবং মুঠোফোনের সংযোগ বন্ধ পাওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মুর্শেদুজ্জামান খানের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।প্রসঙ্গত, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জসিম উদ্দিনের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মুর্শেদুজ্জামান খানের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় আধিপত্য নিয়ে গত নভেম্বর থেকে বিরোধ চলে আসছে। এর জের ধরে গত ৭ জুলাই ক্যাম্পাসে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়। বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা ক্যাম্পাস-সংলগ্ন এলাকায় জসিমের বাড়িতে ভাঙচুর চালাতে গেলে এলাকাবাসী তাঁদের ওপর মারমুখী হন। পরের দিন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জরুরি ভিত্তিতে হল খালি করে দেয়। এরপর থেকেই মুর্শেদুজ্জামান ও তাঁর সমর্থকেরা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারেননি। মধ্যম ও নিম্নপর্যায়ের নেতারা ক্যাম্পাস দখলে রেখেছেন। ওই নেতারাই গতকাল সংবাদ সম্মেলন করে কমিটি থেকে পদত্যাগ করলেন।
157,369
ভোলা অফিস
bangladesh
বাংলাদেশ
০৭ জুলাই ২০১৩, ০৩:৪৯
০৭ জুলাই ২০১৩, ০৩:৫০
ভোলা,বরিশাল,অপরাধ
0
ভোলার মেঘনায় চার জলদস্যুকে পিটিয়ে হত্যা
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/20424
ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলার চর জহিরুদ্দিনে চার জলদস্যুকে জেলেরা পিটিয়ে মেরেছেন বলে জানা গেছে। গতকাল শনিবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে মেঘনার মাঝে তেলিয়ার চরে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশ দস্যুদের কাছ থেকে কিছু ধারালো অস্ত্রসহ একটি বিদেশি বন্দুক উদ্ধার করে।ভোলার পুলিশ সুপার মনিরুজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তজুমদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান ও স্থানীয় জেলেরা জানান, মেঘনার ত্রাস জয়নাল আবেদীন ‘স্পিকার বাহিনী’র সদস্যরা মেঘনায় ডাকাতি করতে গেলে অজিউল্যাহ বাহিনী ধাওয়া করে। ধাওয়া খেয়ে তারা ভোলার চর জহিরুদ্দিনের তেলিয়ার  চরে আশ্রয় নেয়। এ সময় জেলেরা দস্যুদের চিনতে পেরে ঘিরে ফেলেন। এ সময় জেলেদের গণপিটুনিতে জয়নাল বাহিনীর প্রধান জয়নাল স্পিকার, গিয়াস উদ্দিন বাহিনীর প্রধান গিয়াস উদ্দিন, ফোরকান বাহিনীর দ্বিতীয় প্রধান জহির উদ্দিন ও সামসুদ্দিন নামের চার জলদস্যু নিহত হন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত পুলিশ রাত ১১টায় লাশগুলো নিয়ে তজুমদ্দিন থানায় ফিরছিল। জয়নাল আবেদীনের বাড়ি রামগতি থানার জনতা বাজার এলাকায়। তাঁর বিরুদ্ধে রামগতি ও ভোলার বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
762
নিজস্ব প্রতিবেদক
bangladesh
বাংলাদেশ
১৫ মে ২০১৭, ০৩:২০
১৫ মে ২০১৭, ০৩:২১
আইন ও বিচার
0
ব্যক্তির পরিবারকে অর্থ পরিশোধে নেওয়া ব্যবস্থা জানাতে নির্দেশ
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1180901
রাজধানীর পল্টনে কালভার্ট রোডে ঢাকা ওয়াসার খোলা ম্যানহোলে পড়ে এক ব্যক্তি মারা যাওয়ার ঘটনায় মৃত ব্যক্তির পরিবারকে অর্থ দিতে সর্বোচ্চ আদালত যে আদেশ দিয়েছিলেন, তা পরিশোধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালককে জানাতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।গতকাল রোববার বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে ২১ মে পরবর্তী আদেশের জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে। আদালত বলেছেন, সত্য ও জনহিতকর সংবাদ পরিবেশনের জন্য প্রথম আলো প্রশংসার যোগ্য।আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস। প্রথম আলোর পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী আফতাব উদ্দিন ছিদ্দিকী। পরে তাপস কুমার বিশ্বাস প্রথম আলোকে বলেন, হাইকোর্ট কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এজাহার দায়ের করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। এর বিরুদ্ধে কয়েকজন আপিল বিভাগে আবেদন করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ৩০ মার্চ আপিল বিভাগ এজাহার করার অংশটুকু বাদ দিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তির পরিবারকে ৫০ লাখ টাকা দিতে নির্দেশ দেন। ওয়াসা এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনকে ২৫ লাখ টাকা করে দিতে বলা হয়। এ জন্য সময় বেঁধে দেওয়া হয়। আদেশ অনুযায়ী সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) ২৫ লাখ টাকা দিয়েছে বলে জানিয়েছে। বাকি অর্থ ওয়াসা দিয়েছে কি না বা কী ব্যবস্থা নিয়েছে, তা আগামী রোববার জানাতে বলা হয়েছে হাইকোর্টকে।‘পল্টনে খোলা ম্যানহোলে পড়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু’ শিরোনামে গত ৭ মার্চ প্রথম আলোতে প্রতিবেদন ছাপা হয়। সেদিন প্রতিবেদনটি বিবেচনায় নিয়ে হাইকোর্ট স্বতঃপ্রণোদিত রুলসহ ব্যাখ্যা জানাতে ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে (সিইও) আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন। প্রথম আলোকেও প্রকাশিত খবরের সত্যতা জানিয়ে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। ধার্য দিনে গত ১৯ মার্চ এমডি ও সিইও আদালতে হাজির হন। সেদিন শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট সাতজনের বিরুদ্ধে এজাহার দাখিল করতে নির্দেশ দেন। এ ছাড়া মৃত ব্যক্তির পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তা ওয়াসা ও ডিএসসিসিকে জানাতে বলে ৯ মে আদেশের দিন রাখেন। এর ধারাবাহিকতায় গতকাল বিষয়টি হাইকোর্টে ওঠে।
317,478
কেন্দুয়া (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
০৮ আগস্ট ২০১৫, ০১:৪১
০৮ আগস্ট ২০১৫, ০১:৪৩
বিশাল বাংলা,কেন্দুয়া,নেত্রকোনা,ঢাকা বিভাগ,অপরাধ
0
কেন্দুয়ায় এইচএসসি পরীক্ষার্থীসহ দুজন খুন
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/596503
নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় গত দুদিনে এক এইচএসসি পরীক্ষার্থীসহ দুজন খুন হয়েছেন। এর মধ্যে একটি খুনের ঘটনায় পুলিশ একজনকে অাটক করেছে।গতকাল শুক্রবার পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে এইচএসসি পরীক্ষার্থী আবদুল মজিদ (১৯) খুন হয়েছেন। তিনি উপজেলার সান্দিকোনা স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এ বছর এইচএসসি পরীক্ষা দিয়েছেন। তিনি উপজেলার দ্বিপাড়া গ্রামের রিকশাচালক জালাল উদ্দিনের ছেলে।মজিদের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে,মজিদের চাচা আবদুল গাফাফার পাশের আলমপুর গ্রামের আবু ছিদ্দিকের ছেলে রতন মিয়ার কাছে কিছু টাকা পান। গতকাল বেলা আড়াইটার দিকে রতনের কাছে সেই টাকা চান আবদুল গাফফার। এতে রতন ক্ষিপ্ত হন। একপর্যায়ে রতন তাঁর বাড়ি থেকে দা নিয়ে এসে গাফফার ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের ডাকতে থাকেন। এ সময় মজিদ ও তাঁর দুই চাচা আবদুস সাত্তার ও গাফফার বের হয়ে আসেন। সঙ্গে সঙ্গে ওই তিনজনকে দা দিয়ে কোপাতে শুরু করেন রতন। এতে মজিদ গুরুতর আহত হন। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় মজিদকে কেন্দুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।মজিদের মা রাহেলা বেগম বলেন, ‘মজিদের বাবা রিকশা চালিয়ে অনেক কষ্টে তিন ছেলেকে পড়াচ্ছেন। মজিদকে নিয়ে আমাদের অনেক স্বপ্ন ছিল। কিন্তু এখন সব আশা শেষ হয়ে গেছে। আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই।’কেন্দুয়া থানার ওসি অভিরঞ্জন দেব জানান, মজিদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি।গত বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার উলুয়াটি গ্রামের রুবেল মিয়া (২২) খুন হয়েছেন। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ রুবেলের বন্ধু পলাশ মিয়াকে আটক করেছে।রুবেল কেন্দুয়া উপজেলার উলুয়াটি গ্রামের হাশেম উদ্দিনের ছেলে। এ ঘটনায় আটক হওয়া পলাশ একই গ্রামের আক্কাছ মিয়ার ছেলে।রুবেলের পরিবার, পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রুবেল মিয়া বাড়ি থেকে বের হয়ে স্থানীয় রেইনট্রিতলা বাজার এলাকায় যায়। রাতে তিনি আর বাড়ি ফেরেননি। রাতে দুর্বৃত্তরা গলা কেটে ও কুপিয়ে হত্যা করে রুবেলের লাশ বাড়ির আধা কিলোমিটার দূরে চান মিয়ার জমিতে ফেলে রাখে। খবর পেয়ে গতকাল সকাল ১০টার দিকে পুলিশ নিহতের লাশ ওই এলাকা থেকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
158,507
গাজী ফিরোজ, চট্টগ্রাম
bangladesh
বাংলাদেশ
২০ জানুয়ারি ২০১৪, ০১:৫৫
২০ জানুয়ারি ২০১৪, ১৮:৪৬
আইন ও বিচার
null
‘হিমাদ্রী আমাকে আর গান শোনায় না’
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/127149
‘কোন দেশে বাস করছি, ছেলে হত্যার বিচার পাই না! সবখানে টাকা লাগে। এখন মনে হচ্ছে, এ দেশে আমরা সত্যিকারই সংখ্যালঘু। মাঝে মাঝে মনে হয়, এ দেশ আমাদের না। দেশটি ক্ষমতাবানদের। সবকিছুর প্রতি ঘৃণা এসে গেছে। সারা দিন ঘরে বসে থাকি। বাইরে গেলেই কান্নায় বুক ভেঙে যায়।’গতকাল রোববার সকালে চট্টগ্রাম নগরের কোতোয়ালি থানার হেমসেন লেইন গ্রিন্ডলেজ ব্যাংক কলোনি আবাসিক এলাকায় বাসায় কাঁদতে কাঁদতে কথাগুলো বলছিলেন নিহত হিমাদ্রী মজুমদারের মা গোপা দাশ মজুমদার।কুকুর লেলিয়ে হিমাদ্রী মজুমদার হত্যা মামলার ২১ মাস পার হলেও বিচারকাজ শুরু হয়নি এখনো। পুলিশ ধরতে পারেনি মামলার গুরুত্বপূর্ণ এক আসামিকে। জামিনে বেরিয়ে গেছেন অপর চার আসামি। মামলার ধীরগতি, ঘাটে ঘাটে টাকা, বিচারের জন্য দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে না আসায় হতাশ ও অসহায় হয়ে পড়েছে হিমাদ্রীর পরিবার। বর্তমানে চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য রয়েছে মামলাটি।২০১২ সালের ২৭ এপ্রিল নগরের পাঁচলাইশের একটি ভবনের পাঁচতলার ছাদে হিমাদ্রীকে মারধরের পর জার্মানির হিংস্র কুকুর লেলিয়ে দেওয়া হয়। সামারফিল্ড স্কুলের ‘এ’ লেভেলের শিক্ষার্থী এই তরুণকে পরে ছাদ থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়া হয়। এরপর ২৩ মে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকার একটি হাসপাতালে মারা যান হিমাদ্রী।শুরু হয়নি বিচারকাজ: মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচারকাজ শুরু হওয়ার দিন ধার্য থাকলেও তা বারবার পিছিয়ে যাচ্ছে। রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের বারবার সময়ের প্রার্থনা ও হরতালের কারণে ধার্য দিনে অভিযোগ গঠন করা হয়নি। গত বছরের ১৭ ও ২৮ নভেম্বর এবং ১৬ জানুয়ারি অভিযোগ গঠনের দিন ধার্য থাকলেও রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষ সময়ের প্রার্থনা করলে শুনানি পিছিয়ে যায়। অথচ গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ ।এই পাঁচজন হলেন ব্যবসায়ী শাহ সেলিম টিপু, তাঁর ছেলে জুনায়েদ রিয়াদ, শাহাদাত হোসাইন, জাহিদুল ইসলাম শাওন ও মাহাবুব আলী খান ড্যানি। এঁদের মধ্যে মাহবুব আলী পলাতক রয়েছেন। অপর চার আসামি উচ্চ আদালত থেকে জামিনে রয়েছেন। ঘটনার পরদিন ২৮ এপ্রিল হিমাদ্রীর বাবা নগরের পাঁচলাইশ থানায় একটি জিডি করেন। হিমাদ্রী মারা যাওয়ার পর তাঁর মামা অসিত দে বাদী হয়ে একই থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন পাঁচজনের বিরুদ্ধে। হিমাদ্রীর বাবা প্রবীর মজুমদার প্রথম আলোকে বলেন, ‘ঘটনার ২১ মাস পার হলেও বিচারকাজ শুরু হয়নি এখনো। জামিনে বেরিয়ে গেছে আসামিরা। পলাতক রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ এক আসামি। যেখানে যাই, সেখানেই টাকার খেলা। ঘাটে ঘাটে টাকা দিতে হয়। আসামিরা প্রভাবশালী হওয়ায় মামলা থেকে রেহাই পেতে তদবির চালাচ্ছে।’ প্রবীর মজুমদার আরও বলেন, ‘মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠাতে চাঞ্চল্যকর মামলার মনিটরিং সেল সুপারিশও করেছে। কিন্তু মন্ত্রণালয় থেকে এখনো প্রজ্ঞাপন জারি হয়নি। আমি ছেলে হত্যার বিচার চাই।’জানতে চাইলে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) কামাল উদ্দিন আহাম্মদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘২৭ জানুয়ারি অভিযোগ গঠনে শুনানির দিন ধার্য রয়েছে। আশা করি সেই দিন অভিযোগ গঠন করে পরবর্তী ধার্য দিন থেকে সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু করা যাবে।’ অভিযুক্ত প্রধান আসামি শাহ সেলিম টিপু নিজেকে নিদোর্ষ দাবি করে বলেন, ‘আমি এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত নই।’ থামছে না পরিবারের কান্না: হিমাদ্রীদের বাসায় গিয়ে দেখা গেছে, বসার ঘরে হিমাদ্রীর বিশাল একটি হাস্যোজ্জ্বল ছবি। এখনো তাঁর শোওয়ার ঘরে সযত্নে রয়েছে তাঁর ব্যবহূত কম্পিউটার, গিটার, বই ও আসবাবপত্র। সারা দিন তাঁর ঘরেই থাকেন মা গোপা মজুমদার। তাঁর ব্যবহূত এক একটি জিনিস নিয়ে সঞ্চৃতির রাজ্যে হারিয়ে যান আর অঝোরে কাঁদতে থাকেন। গোপা মজুমদার বলেন, ‘ঘর থেকে বের হই না। রাস্তায় কোনো ছেলে দেখলে আমার হিমাদ্রীর কথা মনে পড়ে যায়। গান শুনলে মনে হয় আমার হিমাদ্রী গিটার নিয়ে গান করছে। এ জন্য এখন কোনো গানও শুনি না। আর হিমাদ্রীও আমাকে গান শোনায় না।’ থামে না মায়ের আবিরল কান্না। বড় ছেলের এমন পরিণতি দেখে এখন ছোট ছেলে নীলাদ্রীকে নিয়েও নানা উদ্বেগ আর আশঙ্কায় আচ্ছন্ন হয়ে আছেন তাঁরা।
44,947
এএফপি
international
আন্তর্জাতিক
১৭ আগস্ট ২০১৬, ০১:০০
১৭ আগস্ট ২০১৬, ০১:০১
আরব বিশ্ব
0
গুয়ানতানামোর ১৫ বন্দী আমিরাতে স্থানান্তর
http://www.prothom-alo.com/international/article/948547
কুখ্যাত গুয়ানতানামো কারাগারের ১৫ জন বন্দীকে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতে (ইউএই) পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। কিউবায় অবস্থিত মার্কিন ওই বন্দীশিবির থেকে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এটি একসঙ্গে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক কয়েদি স্থানান্তরের ঘটনা। মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন গত সোমবার এ ঘোষণা দিয়েছে।১৫ জনকে সরিয়ে নেওয়ার পর গুয়ানতানামোয় অবশিষ্ট রইলেন মাত্র ৬১ জন বন্দী। ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে সন্ত্রাসী হামলার পর বিশ্বব্যাপী চালানো মার্কিন ধরপাকড়ে আটক ৭৮০ জনকে ওই কারাগারে রাখা হয়েছিল।ইউএইতে যে বন্দীদের পাঠানো হয়েছে, তাঁদের ১২ জন ইয়েমেনের নাগরিক। বাকি তিনজন আফগান। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে এ তথ্য দিয়েছেন।ইয়েমেনি ওই কয়েদিদের তৃতীয় কোনো দেশে পাঠাতে চেয়ে কিছুটা সমস্যায় পড়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। ইয়েমেনে এখন গৃহযুদ্ধ চলছে। পেন্টাগন এক বিবৃতিতে বলেছে, গুয়ানতানামো বন্ধ করে দেওয়ার প্রচেষ্টায় মার্কিন আহ্বানে ইউএই মানবিক সাড়া দিয়েছে। এ জন্য যুক্তরাষ্ট্র কৃতজ্ঞ।স্থানান্তরিত সাবেক কয়েদিদের সাধারণত মুক্তি দেওয়া হয়। তবে তাঁদের ওপর কর্তৃপক্ষ নজর রাখে এবং পুনর্বাসনে সহায়তা দিয়ে থাকে। মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মার্কিন শাখা ওই বন্দী স্থানান্তরের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বলেছে, প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ক্ষমতা ছাড়ার আগে বিতর্কিত ওই কারাগার বন্ধ করে দেওয়ার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিচ্ছেন বলে ইঙ্গিত মিলছে।প্রেসিডেন্ট ওবামা আগামী বছরের শুরুতে দায়িত্ব ছাড়ার আগেই জরুরি ভিত্তিতে গুয়ানতানামো বন্ধ করে দিতে চান। কিন্তু রিপাবলিকান পার্টির আইনপ্রণেতারা এতে বাধা দিচ্ছেন। তারপরও ওবামা সরকার দু-একজন করে ওই কারাগারের কয়েদি স্থানান্তর প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখে। ওবামা দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে মোট ২৪২ জন কয়েদিকে সরানো হয়েছে।ইউএইতে স্থানান্তরিত একজন আফগান কয়েদির নাম ওবায়দুল্লাহ। তিনি গোপন ভূমিমাইন বহন করছিলেন বলে ২০০১ সালে অভিযোগ আনা হয়। বিনা বিচারে তাঁকে ১৪ বছর ধরে আটকে রাখা হয়।কিউবার দক্ষিণে অবস্থিত গুয়ানতানামোকে যুক্তরাষ্ট্র তাদের নৌঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করে। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের আমলে সেখানে সন্দেহভাজন সন্ত্রাসীদের বন্দীশিবির চালু করা হয়।
250,633
কলকাতা প্রতিনিধি
entertainment
বিনোদন
২৪ জুলাই ২০১৫, ০০:০৪
২৪ জুলাই ২০১৫, ০০:০৪
বিনোদন,বলিউড
0
চ্যাপলিনের চরিত্রে বিদ্যা
http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/583075
জুন মাসে মুম্বাইয়ে বিশ্বখ্যাত অভিনেতা চার্লি চ্যাপলিনের নানা কার্টুন নিয়ে আয়োজন করা হয়েছিল একটি প্রদর্শনীর। এর উদ্বোধন করেছিলেন বলিউড তারকা বিদ্যা বালান। দেশ-বিদেশের ২০০ শিল্পীর আঁকা কার্টুন সেই প্রদর্শনীতে ঠাঁই পেয়েছিল। সেখানেই বিদ্যা বালান তাঁর অনেক দিনের একটি সুপ্ত ইচ্ছার কথা প্রকাশ করেন। জানান, চার্লি চ্যাপলিন চরিত্রে অভিনয় করতে চান তিনি। সেই ইচ্ছা এবার পূরণ হতে চলছে। জানা গেছে, ওই প্রদর্শনীর আয়োজক মালায়লাম ছবির পরিচালক আর সারথ এখন বিদ্যা বালানকে নিয়ে তৈরি করবেন একটি হিন্দি ছবি, যাতে বিদ্যাকে দেখা যাবে চার্লি চ্যাপলিনের ভূমিকায়।১৯৮৭ সালে বলিউড তারকা শ্রীদেবীকে মিস্টার ইন্ডিয়া ছবিতে কিছু সময়ের জন্য চ্যাপলিনের সাজে দেখা গিয়েছিল। ওই ছবি দেখেই নাকি আরও বেশি অনুপ্রাণিত হয়েছেন বিদ্যা বালান।পরিচালক আর সারথ বলেন, এরই মধ্যে চ্যাপলিনের ভূমিকায় অভিনয়ের জন্য বিদ্যাকে প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি। আগামী সপ্তাহে বিদ্যার সঙ্গে কথা পাকাপাকি করতে সারথ মুম্বাই যাচ্ছেন।পরিচালক আর সারথ এর আগে মালায়লাম ভাষায় তৈরি করেছেন বুদ্ধানাম চ্যাপলিনাম চিড়িকুন্নু (বুদ্ধ এবং চ্যাপলিন স্মাইল) নামের একটি ছবি। আগামী সপ্তাহে ছবিটি মুক্তি পাচ্ছে।
154,638
শক্তি সাহা
life-style
জীবনযাপন
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ১৪:৩৯
২০ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৫:৫৩
পেশা,চাকরির খবর
null
কারারক্ষী পদে নিয়োগ-প্রক্রিয়া চলছে
http://www.prothom-alo.com/life-style/article/1432601
‘রাখিব নিরাপদ দেখাব আলোর পথ’ এই মূলমন্ত্র নিয়ে কারা প্রশাসন দেশের কারাগারসমূহে আগত বিপথগামী লোকদের সঠিক প্রেষণা প্রদানের মাধ্যমে তাদের ভুল বুঝতে সহায়তা করা ও সংশোধন করা এবং বর্তমান যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সঠিক প্রশিক্ষণ প্রদান করে দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে সমাজে ফিরিয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।সম্প্রতি কারা অধিদপ্তর কারারক্ষী পদে লোক নেবে বলে এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়েছে। এ পদে পুরুষ ও মহিলা উভয় প্রার্থীই আবেদন করতে পারবেন। আগ্রহী প্রার্থীরা টেলিটক প্রি-প্রেইড মোবাইল ফোন থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টা থেকে ১৯ ফেব্রুয়ারি রাত ১২টা পর্যন্ত এসএমএসের মাধ্যমে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখিত নিয়মানুযায়ী নিবন্ধন করতে পারবেন। নিবন্ধন ফি জমাদানের শেষ সময় ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ রাত ১২টা পর্যন্ত। ভর্তির তারিখ ও স্থান পরবর্তী সময়ে এসএমএসের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে।জেলা কোটাসমূহ: পুরুষ কারারক্ষীর ক্ষেত্রে ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, শেরপুর, জামালপুর, কুড়িগ্রাম, বাগেরহাট ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা ব্যতীত অন্য সব জেলার প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। অন্যদিকে, মহিলা কারারক্ষীর ক্ষেত্রে শুধু ঢাকা, গাজীপুর, মুন্সিগঞ্জ, কুমিল্লা, ফেনী, সিলেট, সুনামগঞ্জ, খুলনা, যশোর, নড়াইল, চুয়াডাঙ্গা, ভোলা, বরগুনা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রংপুর, লালমনিরহাট ও নীলফামারী জেলার প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।আবেদনের যোগ্যতা: বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, এ পদে আবেদন করতে হলে প্রার্থীকে অবশ্যই এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। বয়স মুক্তিযোদ্ধা/শহীদ মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ব্যতীত অন্য সব কোটার প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ০১-০২-১৮ তারিখে সর্বনিম্ন ১৮ এবং সর্বোচ্চ ২১ বছরের মধ্যে হতে হবে। শুধু মুক্তিযোদ্ধা বা শহীদ মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের ক্ষেত্রে বয়স একই তারিখে ১৮ থেকে ৩২ বছর থাকতে হবে। প্রার্থীকে অবশ্যই বাংলাদেশের স্থায়ী নাগরিক ও অবিবাহিত হতে হবে। প্রার্থী যে জেলার স্থায়ী বাসিন্দা, কেবল সেই জেলার প্রার্থী হিসেবে এ পদে নিয়োগের জন্য আবেদন করতে পারবেন।আর শারীরিক যোগ্যতার ক্ষেত্রে পুরুষ প্রার্থীদের উচ্চতা কমপক্ষে ১.৬৭ মিটার, বুক কমপক্ষে ৮১.২৮ সে.মি. এবং ওজন কমপক্ষে ৫২ কেজি হতে হবে। অন্যদিকে, মহিলা প্রার্থীদের ক্ষেত্রে উচ্চতা কমপক্ষে ১.৫৭ মিটার, বুক ৭৬.৮১ সে. মি. এবং ওজন কমপক্ষে ৪৫ কেজি হতে হবে।প্রয়োজনীয় কাগজপত্র: শারীরিক মাপ পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সময় প্রার্থীকে প্রতিটি সার্টিফিকেটের মূল কপির সঙ্গে অতিরিক্ত ১ কপি সত্যায়িত ফটোকপি সঙ্গে আনতে হবে। এ ছাড়া নমুনা ফরমের অনুকরণে পূরণকৃত আবেদনপত্রের সঙ্গে শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ বা সাময়িক সনদের মূল কপি, সর্বশেষ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান কর্তৃক প্রদত্ত চারিত্রিক সনদের মূল কপি, জেলার স্থায়ী বাসিন্দা প্রমাণস্বরূপ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বা সিটি করপোরেশন বা পৌরসভার মেয়র বা ওয়ার্ড কমিশনারের কাছ থেকে স্থায়ী নাগরিকত্বের সনদের মূল কপি, জাতীয় পরিচয়পত্রের মূল কপি, ৪ কপি সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের সত্যায়িত ছবিসহ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখিত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সঙ্গে আনতে হবে।বাছাই পদ্ধতি: প্রার্থীদের প্রথমে শারীরিক মাপ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। শারীরিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের একই দিনে ১ ঘণ্টা ৩০ মিনিটের ৭০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। লিখিত পরীক্ষা প্রসঙ্গে কারা অধিদপ্তরের সহকারী কারা মহাপরিদর্শক (প্রশাসন) মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘যেহেতু এ পদের শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি পাস চাওয়া হয়েছে, তাই এসএসসি উত্তীর্ণের প্রশ্নের মান যে ধরনের হয়ে থাকে, লিখিত পরীক্ষার প্রশ্ন তেমনই হবে।’ তিনি আরও জানান, লিখিত পরীক্ষার বিষয় থাকবে চারটি—বাংলা, ইংরেজি, গণিত ও সাধারণ জ্ঞান। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের আবার ৩০ নম্বরের মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। উভয় পরীক্ষায় আলাদাভাবে ন্যূনতম ৪৫ শতাংশ নম্বর পেতে হবে। তবে জেলার নিয়োগযোগ্য প্রকৃত শূন্য পদের বিপরীতে কোটাভিত্তিক মেধাক্রম অনুযায়ী প্রার্থীদের প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত করা হবে।এ পেশার দায়দায়িত্ব: ২০০৮ সালে কারারক্ষীপদে নিয়োগ পান তানভীর বিশ্বাস। তিনি এখনকারা অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শকের দেহরক্ষী হিসেবে কর্মরত আছেন। তিনি বলেন, একজন কারারক্ষীকে অত্যন্ত নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করতে হয়। জেলে আসা বন্দীদের নিয়েই তাঁদের কাজ করতে হয়। জেলের ভেতরে থাকা বন্দীরা যেন কোনো ধরনের অপকর্মে লিপ্ত না হয়, এ বিষয়ে কারারক্ষীদের খেয়াল রাখতে হয়। এ ছাড়া বন্দীদের মধ্যে খাবার বিতরণ, বন্দীদের চিকিৎসায় নানাভাবে সহযোগিতা করেন কারারক্ষীরা। বন্দীদের করা ভুল সংশোধনের জন্য ভালো ব্যবহার ও শিক্ষামূলক তথ্য দিয়ে তাঁদের ভালো মানুষে পরিণত করাই কারারক্ষীদের কাজ।বেতন–ভাতা ও সুবিধাদি: চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত একজন কারারক্ষী জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ অনুযায়ী ৯ হাজার টাকা স্কেলে বেতন পাবেন। এ ছাড়া বিধি মোতাবেক প্রাপ্য ভাতাসহ অন্যান্য সুবিধা পাওয়া যাবে। আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, একজন কারারক্ষী তাঁর দক্ষতা ও যোগ্যতা এবং বিভিন্ন বিভাগীয় পরীক্ষার মাধ্যমে পদোন্নতি পেয়ে সহকারী প্রধান কারারক্ষী, প্রধান কারারক্ষী, সর্বপ্রধান কারারক্ষী, সার্জন ইন্সপেক্টর পর্যন্ত হতে পারবেন।এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি পাওয়া যাবে এই লিংকটিতে।
355,185
ঠাকুরগাঁও ও বদরগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
২০ জানুয়ারি ২০১৬, ০২:২৫
২০ জানুয়ারি ২০১৬, ০২:৪৭
বিশাল বাংলা
0
মেঝেতে শিশুদের রেখে নিউমোনিয়ার চিকিৎসা
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/745234
ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালের শিশু বিভাগে প্রতিদিন ধারণক্ষমতার পাঁচ গুণের বেশি শিশু রোগী ভর্তি হচ্ছে। শয্যা কম থাকায় হাসপাতালের ওয়ার্ডের মেঝেতে রেখে নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত শিশুদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। বদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও একই ধরনের দৃশ্য দেখা গেছে।গতকাল মঙ্গলবার সকালে ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালের শিশু ও নবজাতক ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা যায়, ১৮ শয্যার শিশু ও নবজাতক ওয়ার্ডে সোমবার রাত পর্যন্ত ১১৯টি শিশু ভর্তি ছিল। এসব শিশুর বেশির ভাগই ডায়রিয়া ও শ্বাসকষ্টজনিত রোগে আক্রান্ত। গতকাল দুপুরে ৫৯টি শিশুকে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়। আর ৩৩টি নতুন শিশু ভর্তি হয়। গতকাল দুপুর পর্যন্ত শিশু ওয়ার্ডে ৯২টি শিশুকে ডায়রিয়া ও শ্বাসকষ্টজনিত রোগের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল। এর মধ্যে ৫৪টি শিশু ডায়রিয়া ও ২৬টি শিশু শ্বাসকষ্টজনিত রোগে আক্রান্ত। শয্যাসংকটের কারণে বেশির ভাগ শিশুকে ওয়ার্ডের মেঝেতে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। বারান্দায় বিছানা পেতে শিশুর চিকিৎসা করাচ্ছেন অনেক অভিভাবক।হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডের বারান্দায় বিছানা পেতে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত নয় মাসের শিশু শামীমের চিকিৎসা করাচ্ছিলেন পীরগঞ্জ উপজেলার করনা গ্রামের রাহেলা বেগম। তিনি বলেন, ‘গত শুক্রবার আমার নাতনির বমি শুরু হয়। অবস্থার অবনতি হলে শনিবার সকালে হাসপাতালে নিয়ে আসি। এখানে এসে দেখি, বেড নাই। শেষে উপায় না দেখে মেঝেতে কম্বল পেতে চিকিৎসা নিচ্ছি। কিন্তু শামীমের অবস্থার খুব একটা উন্নতি হচ্ছে না।’পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলার বলরামপুর গ্রামের জোগেশ নাথ বলেন, তিনি শনিবার সন্ধ্যায় ডায়রিয়ায় আক্রান্ত নয় মাসের ছেলেকে হাসপাতালে ভর্তি করেছেন। তিনি বলেন, ‘দুই দিন ধরে হাসপাতালের বারান্দায় থেকে ছেলের চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। রাতে ঠান্ডা বাতাস বারান্দার রোগীদের কাবু করে দেয়। তখন বাড়তি কম্বল দিয়ে ছেলের শরীর ঢেকে দিই। তবু ঠান্ডা লাগে।’নবজাতক ও শিশু বিভাগের চিকিৎসক শাহজাহান নেওয়াজ বলেন, ‘শয্যা না থাকায় কনকনে শীতের মধ্যেই ডায়রিয়া ও শ্বাসকষ্টের রোগে আক্রান্ত শিশুদের ওয়ার্ডের মেঝেতে ও বারান্দায় রেখে চিকিৎসা দিতে বাধ্য হচ্ছি।’হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ও ঠাকুরগাঁওয়ের সিভিল সার্জন নজরুল ইসলাম বলেন, শুধু শিশু ওয়ার্ডে নয়, সব ওয়ার্ডেই প্রতিদিন ধারণক্ষমতার দ্বিগুণের বেশি রোগী ভর্তি হয়। ১০০ শয্যার অতিরিক্ত রোগীদের তাই মেঝেতে থেকে চিকিৎসাসেবা নিতে হচ্ছে।বদরগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, গতকাল দুপুর পর্যন্ত ৩১ শয্যার ওই হাসপাতালে রোগী ভর্তি ছিল ৫৬ জন। শয্যা-সংকটের কারণে মেঝেতে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল ২৫ জনকে। গতকাল সকাল ১০টায় সরেজমিনে দেখা যায়, শয্যার অভাবে অনেক রোগীর ঠাঁই হয়েছে মেঝেতে। মহিলা ওয়ার্ডের মেঝেতে চার মাসের সন্তান সিফাতকে কোলে নিয়ে বসে ছিলেন স্বপ্না বেগম। তিনি বলেন, ‘মাটির চাইতে পাকা মাঝিয়া (মেঝে) বেশি ঠান্ডা। এই জন্য ছইলটাক মাঝিয়াত না সোতেয়া (শুয়ে না রেখে) কোলাত নিয়া সারা রাইত হাসপাতালোত বসি কাটাই। হাসপাতাল থাকি একটা খালি কম্বল দেছে, ওইটা গাওত দেই না বিছাই। তাও আছি, ছইলটা জোন মোর ভালো হয়।’স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বপ্রাপ্ত আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা সাদিকুর রহমান বলেন, হাসপাতালে বাধ্য হয়ে অতিরিক্ত জরুরি রোগীদের মেঝেতে রেখেই চিকিৎসা দিতে হচ্ছে।
193,917
আলী রীয়াজ
opinion
মতামত
১৯ ডিসেম্বর ২০১৩, ০০:১০
১৯ ডিসেম্বর ২০১৩, ০১:৪১
খোলা কলম,আলী রীয়াজ,রাজনীতি,লেখকের কলাম
null
দুই-তৃতীয়াংশের শাসন কি অভিশাপ?
http://www.prothom-alo.com/opinion/article/102403
সংসদীয় ব্যবস্থায় যেকোনো প্রধান রাজনৈতিক দলই চাইবে সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে বিজয়ী হতে, যাতে ওই দল দেশ শাসন করতে পারে। নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে বিজয়ী হওয়ার প্রত্যাশা খুবই স্বাভাবিক। এই ধরনের ফলাফলকে দলের নেতারা তাঁদের নেতৃত্বের সাফল্য বলেই বিবেচনা করে থাকেন। কিন্তু ক্ষেত্রবিশেষে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে বিজয়ই ক্ষমতাসীন হওয়ার জন্য যথেষ্ট হতে থাকে, ক্ষেত্রবিশেষে কোয়ালিশন সরকার গঠন করে অন্য দলের সঙ্গে ক্ষমতা ভাগাভাগি করতে হয়। কিন্তু প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক রাজনৈতিক ব্যবস্থায় রাজনৈতিক দল কি নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার অতিরিক্ত, দুই-তৃতীয়াংশ আসনে, বিজয়ী হতে চায়? কোনো দেশে কোনো একক দল বা জোটের দুই-তৃতীয়াংশ আসনে বিজয়ী হওয়া কি গণতন্ত্রের জন্য ইতিবাচক?দুই-তৃতীয়াংশ কি আশীর্বাদ বা অভিশাপ? বাংলাদেশে উপর্যুপরি যখন তৃতীয়বারের মতো একটি সংসদ ‘নির্বাচিত’ হতে চলেছে, যেখানে ক্ষমতাসীনেরা দুই-তৃতীয়াংশ আসনের অধিকারী হবে, সেখানে এই প্রশ্নটি বিবেচনা করা জরুরি। বিবেচনা করা দরকার যে বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দেশ থেকে ভিন্ন কি না।১৯৭১ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত চার দশকে দক্ষিণ এশিয়ার চারটি দেশ—বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কায় মোট ৩৫টি সংসদীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসব দেশের সংসদীয় নির্বাচন হয়েছে ‘ফার্স্ট পাস্ট দ্য পোস্ট’ পদ্ধতিতে, যার অর্থ হলো, প্রতিটি আসনে যে প্রার্থী সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট পাবেন, তিনি বিজয়ী হবেন এবং সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনের অধিকারী দল এমনকি সেই দল যদি সব মিলে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট না-ও পায়, সরকার গঠন করবে।এর একমাত্র ব্যতিক্রম হলো শ্রীলঙ্কা; সে দেশে ১৯৭৮ সালের সংবিধান পরিবর্তন করে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব-ব্যবস্থা চালু করা হয়। এই ৩৫টি নির্বাচনের নয়টি হয়েছে বাংলাদেশে, ভারতে ১১টি, পাকিস্তানে আটটি ও শ্রীলঙ্কায় সাতটি। এসব নির্বাচনের মধ্যে ১১টি নির্বাচনে বিজয়ী দল বা জোট দুই-তৃতীয়াংশ আসনে বিজয়ী হয়েছে। এর মধ্যে ১০টি ক্ষেত্রেই দুই-তৃতীয়াংশের শাসনে দেশটির অভিজ্ঞতা হয়েছে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার, দেশে নাগরিক অধিকারের অবনতি ঘটেছে এবং সংবিধানের এমন ব্যাপক পরিবর্তন ঘটানো হয়েছে, যার রয়েছে দীর্ঘমেয়াদি প্রতিক্রিয়া। বাংলাদেশে এ ধরনের দুই-তৃতীয়াংশের সংসদ তৈরি হয়েছে ছয়বার, ভারতে দুবার, পাকিস্তানে দুবার ও শ্রীলঙ্কায় একবার।দুই-তৃতীয়াংশের শাসনের সঙ্গে বাংলাদেশের প্রথম পরিচয় ঘটে স্বাধীনতার অব্যবহিত পরেই, দেশের প্রথম নির্বাচনে ১৯৭৩ সালে। শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ নির্বাচনে সংসদের ৯৭ দশমিক ৬৭ শতাংশ আসন লাভ করে। এতে দলের পক্ষে সংবিধানের এতটাই পরিবর্তন সম্ভব হয় যে দুই বছরেরও কম সময়ের মধ্যে দেশটি একদলীয় ব্যবস্থায় উপনীত হয়। সংসদ তার নিজের মেয়াদকাল বর্ধিত করে নেয় এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিব সংসদের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। দেশের গোটা শাসনকাঠামোই বদলে যায়।১৯৭২ সালে আওয়ামী লীগের সদস্যদের নিয়ে গঠিত গণপরিষদ যে সংবিধান তৈরি করেছিল, সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও তাতে নাগরিকের মৌলিক অধিকারগুলো নিশ্চিত করা হয়েছিল। কিন্তু দুটি সংশোধনী—দ্বিতীয় ও চতুর্থ, কার্যত এসব অধিকার সীমিত করে দেয়। চতুর্থ সংশোধনী বিচার বিভাগকেও নির্বাহী বিভাগের অধীন করে ফেলে। আওয়ামী লীগের শাসনের অবসান ঘটে নির্মম ঘটনাপ্রবাহের মধ্য দিয়ে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সেনা-অভ্যুত্থানের সময় নির্মমভাবে হত্যা করা হয় বাংলাদেশ রাষ্ট্রের স্থপতি শেখ মুজিব, তাঁর পরিবার ও তাঁর সহযোগী জাতীয় নেতাদের। বছরের শেষ পর্যন্ত দেশে অভ্যুত্থান ও পাল্টা-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে দেশে অস্থিরতা চলতেই থাকে।১৯৭৯ সালের নির্বাচনে তৎকালীন ক্ষমতাসীন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), যার সৃষ্টি হয়েছিল সামরিক শাসক জেনারেল জিয়াউর রহমানের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে, ৬৯ শতাংশ আসন লাভ করে। এই নির্বাচন গোড়া থেকেই সাজানো হয়, যেন তা সেনাশাসনকে বৈধতা দিতে পারে। ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ থেকে যেসব কার্যকলাপ করা হয়েছে, সেগুলোকে বৈধতা দেওয়া হয়, যার মধ্যে শেখ মুজিবের হত্যাকারীদের দায়মুক্তির ব্যবস্থা পর্যন্ত ছিল।শুধু তা-ই নয়, রাষ্ট্রীয় আদর্শ ও জাতীয়তাবিষয়ক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে দেশের ভবিষ্যৎ পথরেখা এবং বাংলাদেশ রাষ্ট্রের চরিত্রকে স্থায়ীভাবে বদলে দেয় এই সংশোধনী। ১৯৮৮ সালের নির্বাচন, যা অনুষ্ঠিত হয়েছিল আরেক সেনাশাসক জেনারেল হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের আমলে, তাতে প্রধান বিরোধী দলগুলো যেমন আওয়ামী লীগ ও বিএনপি অংশ নেয়নি। তাতে জেনারেল এরশাদের হাতে গড়া দল জাতীয় পার্টি ৮৩ দশমিক ৬৭ শতাংশ আসনের অধিকারী হয়। এই নির্বাচনের বৈধতা প্রশ্নসাপেক্ষ থাকলেও শাসকেরা সংবিধানের অষ্টম সংশোধনীর মাধ্যমে ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। তৎকালীন বিরোধীরা যদিও প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যে তারা ক্ষমতায় গেলে এই ধারা তুলে দেবে, কিন্তু তা আর কোনো দিনই বাংলাদেশের সংবিধান থেকে অপসৃত হয়নি।তবে দুই-তৃতীয়াংশ বা সুপার মেজরিটির সবচেয়ে বড় উদাহরণ হয়ে ওঠে ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচন, যা অনুষ্ঠিত হয় খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন বিএনপি সরকারের আমলে। সবচেয়ে কম ভোটারের সমর্থন নিয়ে গঠিত সংসদে বিএনপি ছাড়া আর কোনো দলই বিজয়ী হয়নি। কেননা, প্রধান সব দলই তা বর্জন করে। সংসদের ১০০ শতাংশ আসনে বিজয়ী বিএনপি স্বল্পতম সময়ে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী পাস করে ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়ায়। এই সংশোধনী নির্বাচনকালে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়কব্যবস্থা সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করে; বিরোধী দলের চাপের মুখে তাড়াহুড়ো করে করা এই সংশোধনীর ব্যাপারে সংসদ আর কারও মতামতই নেয়নি এবং তা যে দীর্ঘমেয়াদি সমস্যার বীজ বপন করেছিল, ২০১৩ সালে এসে বাংলাদেশের রাজনীতিতে তার প্রভাব আমরা দেখতে পাচ্ছি। এই চারটি নির্বাচনের মধ্যে দুটি নির্বাচন ও তার ফলাফলকে আমরা ব্যত্যয় বলে ধরতে পারি এই বিবেচনায় যে সেগুলো হয়েছিল সেনাশাসনের আমলে সেসব শাসনকে বৈধতা দেওয়ার জন্য। ১৯৯৬ সালের নির্বাচনকে আমরা এই বলে বিবেচনার বাইরে রাখতে পারি যে তা ছিল বিরোধীদের চাপের মুখে এবং সেই সংসদ দেশ শাসনের চেষ্টা করেনি।কিন্তু এসব কোনো বিবেচনাই আমরা তৈরি করতে পারি না ২০০১ ও ২০০৮ সালের নির্বাচনের ব্যাপারে। সবচেয়ে সুষ্ঠু ও অবাধ বলে যে নির্বাচনগুলোকে মনে করা হয়, তার মধ্যে এই দুই নির্বাচন অন্যতম। ২০০১ সালের নির্বাচনে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ৪-দলীয় জোট ৭০ দশমিক ৬৭ শতাংশ আসনে বিজয়ী হয়। বিএনপির নেতৃত্বাধীন এই সরকারের আমলে দেশে ইসলামপন্থী জঙ্গিগোষ্ঠীর উত্থানের ঘটনাই শুধু ঘটেনি, পরবর্তী তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানের পদে ক্ষমতাসীন দলের প্রতি সহানুভূতিশীল একজন বিচারককে বসানোর উদ্দেশ্যে সংবিধানের চতুর্দশ সংশোধনী পাস করা হয়, যাতে সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের অবসর গ্রহণের বয়সসীমা বাড়ানো হয়। এতে যে রাজনৈতিক অচলাবস্থার সূচনা হয়, তার পরিণতিতেই ২০০৭ সালের নির্বাচনের তফসিল বাতিল করে সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করে এবং দুই বছর দেশ শাসন করে।২০০৮ সালের নির্বাচনে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয় আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন জোট; তাদের প্রাপ্ত আসনের পরিমাণ ৮১ শতাংশ। নির্বাচনের তিন বছরের মধ্যে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার বিলোপ ঘটায়। সংবিধান সংশোধনের জন্য গঠিত সংসদীয় কমিটি, যার সব সদস্যই ছিলেন ক্ষমতাসীন দলের, এই ব্যবস্থা রাখার পক্ষে মত দিলেও আদালতের একটি রায়ের ওপরে আংশিকভাবে নির্ভর করে এই ব্যবস্থার বিলোপ ঘটানোর কারণে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি ২০১৪ সালের নির্বাচন বর্জন করছে এবং দেশজুড়ে এক সহিংস অস্থিরতার সূচনা হয়েছে।লক্ষণীয়, বাংলাদেশের সেনাশাসকেরা সংসদে দুই-তৃতীয়াংশের জোরে সংবিধানের যত পরিবর্তন ঘটিয়েছেন, দেশের বেসামরিক রাজনৈতিক দলগুলো তা থেকে মোটেই পিছিয়ে থাকেনি।আগামীকাল: ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার অভিজ্ঞতা আলী রীয়াজ: গণনীতিবিষয়ক গবেষক, উড্রো উইলসন সেন্টার, ওয়াশিংটন।
36,994
ইফতেখার মাহমুদ
bangladesh
বাংলাদেশ
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ০২:১৮
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ১২:১৫
নোয়াখালী
null
ঠেঙ্গারচর বাসযোগ্য নয়?
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1084289
নোয়াখালীর ঠেঙ্গারচর নামে যে এলাকায় রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, সেটি জোয়ারের সময় পানিতে ডুবে থাকে। শুষ্ক মৌসুমে এ চরের কিছু অংশ দৃশ্যমান হলেও অতি জোয়ারের সময় ও বর্ষা মৌসুমে প্লাবিত হয়। ঠেঙ্গারচরে অপেক্ষাকৃত উঁচু স্থানের ভূমি এখনো স্থায়িত্ব লাভ করেনি—মন্ত্রণালয়কে বন বিভাগের চিঠিরোহিঙ্গাদের পুনর্বাসনের জন্য নির্ধারিত ঠেঙ্গারচরের মাটি ও পরিবেশ এখনো মানুষের বসবাসের উপযোগী হয়নি। বর্ষার পুরো সময়জুড়ে চরটি পানিতে ডুবে থাকে। শুষ্ক মৌসুমে তা জেগে উঠলেও জোয়ারের সময় এর বড় অংশ পানিতে তলিয়ে যায়।নরম মাটি ও কাদায় পূর্ণ ওই চরটিকে স্থায়ী করতে আট বছর ধরে বন বিভাগ সেখানে ম্যানগ্রোভ বা শ্বাসমূলীয় প্রজাতির গাছ লাগাচ্ছে। পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় ২০১৩ সালে চরটিকে সংরক্ষিত বন ঘোষণা করেছে।অন্যদিকে বাংলাদেশ বার্ড ক্লাব ও পাখিবিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা স্পুন বিলড সেন্ড পাইপার টাস্কফোর্সের জরিপে দেখা গেছে, ওই চর-সংলগ্ন এলাকায় ৫৫ প্রজাতির পাখি বসবাস করে। দেশের উপকূলের মধ্যে হাতিয়ার পাশে ঠেঙ্গারচরসহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় শীতকালে ৫৫ প্রজাতির প্রায় ৫০ হাজার পাখি এসে বসত গড়ে। সেখানে সাত প্রজাতির প্রায় বিপন্ন, এক প্রজাতির বিপদাপন্ন এবং এক প্রজাতির পাখি রয়েছে, যা পৃথিবীজুড়েই মহা বিপদাপন্ন।সংস্থা দুটির গবেষণায় দেখা গেছে, ওই চর এখনো মানুষের বসবাসের উপযোগী হয়ে ওঠেনি। নরম মাটি ও জোয়ারের পানিতে বেশির ভাগ সময় ডুবে থাকে বলেই সেখানে এত পাখি আসে। মৎস্য অধিদপ্তর ওই এলাকাসহ ভোলা থেকে নোয়াখালী পর্যন্ত মেঘনার অববাহিকাকে ইলিশের অভয়াশ্রম হিসেবে ঘোষণা করেছে। সেখানে নিয়মিত ডলফিন বিচরণ করে।৫ ফেব্রুয়ারি বন বিভাগের পক্ষ থেকে ঠেঙ্গারচর নিয়ে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের কাছে একটি চিঠি দেওয়া হয়। তাতে বলা হয়, নোয়াখালীর ঠেঙ্গারচর নামে যে এলাকায় রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, সেটি জোয়ারের সময় পানিতে ডুবে থাকে। শুষ্ক মৌসুমে এ চরের কিছু অংশ দৃশ্যমান হলেও অতি জোয়ারের সময় ও বর্ষা মৌসুমে প্লাবিত হয়। ঠেঙ্গারচরে অপেক্ষাকৃত উঁচু স্থানের ভূমি এখনো স্থায়িত্ব লাভ করেনি। জলযান থেকে নেমে হাঁটু পরিমাণ কাদা ডিঙিয়ে চরের অপেক্ষাকৃত উঁচু স্থানে পৌঁছাতে হয়।এ ব্যাপারে জানতে চাইলে নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক বদরে মুনির ফেরদৌস প্রথম আলোকে বলেন, ওই চরে কোনো বন্য প্রাণী নেই। কিছু বক ছাড়া সেখানে কোনো প্রাণী দেখা যায় না। আর সংরক্ষিত হিসেবে ঘোষিত বন বাতিল করার সুযোগ আছে। সরকার সেখানে বেড়িবাঁধসহ অন্যান্য স্থাপনা করে রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসন করতে পারে। কীভাবে সেখানে বসতি করা যায়, সে ব্যাপারে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য বন বিভাগের সঙ্গে জেলা প্রশাসন কাজ করছে বলেও জানান তিনি।বাংলাদেশ বার্ড ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা প্রখ্যাত পাখি বিশেষজ্ঞ ইনাম আল হক এ ব্যাপারে প্রথম আলোকে বলেন, ‘১০ বছর ধরে আমরা দেশের উপকূলীয় এলাকার পাখি ও বন্য প্রাণী পর্যবেক্ষণ করতে গিয়ে দেখতে পেয়েছি, এলাকাটি দেশের বিপন্নপ্রায় নানা পাখির শেষ আশ্রয়স্থল। সেখানে জোয়ারের পানির উচ্চতা ও কাদার পরিমাণ এতই বেশি যে কোনো মানুষের পক্ষে সেখানে বাস করা সম্ভব না। সরকার যদি সেখানে জোর করে রোহিঙ্গাদের বসতি করতে চায়, তাহলে তা হবে আত্মঘাতী। শেষ পর্যন্ত মানুষও সেখানে বসবাস করতে পারবে না। আর বন্য প্রাণী তার আশ্রয় হারাবে।’বিকল্প প্রস্তাব দিয়েছিল বন বিভাগ৫ ফেব্রুয়ারি বন বিভাগ থেকে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়কে দেওয়া এক চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, সামুদ্রিক ঢেউ, জলোচ্ছ্বাস ও অন্যান্য প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে চরটি প্রায়ই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ কারণে আজ পর্যন্ত সেখানে কোনো বসতি গড়ে ওঠেনি। কক্সবাজারে বসবাসরত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ঠেঙ্গারচরে পুনর্বাসন না করে স্থায়িত্ব লাভসহ চাষাবাদ উপযোগী একটি চরে পুনর্বাসনের প্রস্তাব দিয়েছিল বন বিভাগ। বন বিভাগ একই উপজেলার মূল ভূখণ্ড থেকে দু-তিন কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত ঘাসিয়ার চরের ৫০০ একর সংরক্ষিত বনের পতিত এলাকায় রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসনের জন্য প্রস্তাব দিয়েছিল। বন বিভাগ থেকে বলা হয়েছে, ঘাসিয়ার চরে ম্যানগ্রোভ বন সৃজন করা হয়েছে এবং সেখানে সাম্প্রতিক সময়ে কিছু জনবসতি স্থাপন করতে দেখা গেছে।বন বিভাগ থেকে সরেজমিন পরিদর্শন শেষে ওই চরটিকে রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসনের অনুপযোগী হিসেবে তুলে ধরেছে। পাশাপাশি বন বিভাগ সেখানে সরকার যদি রোহিঙ্গা পুনর্বাসন করতে চায়, তাহলে মোট ছয়টি পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। এসব পরামর্শ মেনে সরকার সেখানে রোহিঙ্গা পুনর্বাসন করলে প্রথমেই সংরক্ষিত বনের মর্যাদা বাতিল করতে হবে। ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর সরকার এর জীববৈচিত্র্যের কথা চিন্তা করে সংরক্ষিত বন ঘোষণা করে।অন্যদিকে বন বিভাগ থেকে বলা হয়েছে, যদি ঠেঙ্গারচরে মানব বসতি করতে হয়, তাহলে এর চারদিকে বেড়িবাঁধ নির্মাণ করতে হবে। চরটি স্থায়ী হয়েছে কি না, তা পরীক্ষা করতে হবে। পানীয় জলের ব্যবস্থা ও ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করতে হবে।এ ব্যাপারে জানতে চাইলে প্রধান বন সংরক্ষক মোহাম্মদ সফিউল আলম চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, বন বিভাগ সরকারের পক্ষে বনভূমি রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করে থাকে। সরকার যদি ঠেঙ্গারচরে রোহিঙ্গাদের বসতি গড়ে তোলার পরিকল্পনা করে, তাহলে বন বিভাগ থেকে এ ব্যাপারে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।বিপন্ন চামচ-ঠুঁটো বাটান পাখির আশ্রয়স্থলঠেঙ্গারচরের মাটি কাদা ও বালুর বিশেষ ধরনের মিশ্রণে গড়ে উঠেছে। সেখানে একধরনের পোকা হয়, যা খাওয়ার লোভে ওই চরে চামচ-ঠুঁটো বাটান নামে পৃথিবী থেকে প্রায় বিলুপ্ত হতে যাওয়া এক জাতের পাখি শীতকালে বসত গড়ে। সারা পৃথিবীতে ওই পাখি আছেই মাত্র ২০০ জোড়া, যার ৬০ জোড়া আছে ওই চর ও পার্শ্ববর্তী এলাকায়। এদের বিলুপ্তি থেকে বাঁচাতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বন্য প্রাণীপ্রেমী ও গবেষকেরা মিলে চামচ-ঠুঁটো বাটান টাস্কফোর্স নামে একটি সংগঠনও গড়ে তুলেছেন।স্পুন বিলড সেন্ড পাইপার টাস্কফোর্সের সমন্বয়কারী ক্রিস্টফ জক্লার এ ব্যাপারে প্রথম আলোকে বলেন, ‘এই এলাকা শুধু বাংলাদেশের না, সারা বিশ্বের পাখির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়া ওই এলাকাটি বিশ্বব্যাপী বিপন্ন নরমানের সবুজ পা এবং বড় নট, সংকটাপন্ন দেশি গাংচশা এবং আরও অনেক পাখির জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ। ফলে ওই পাখিগুলো রক্ষা করতে এদের আবাসস্থল ওই চরগুলোকে রক্ষা করতে হবে।’২০১১ সালে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীতে জীববৈচিত্র্যের অধিকারকে যুক্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া ২০১০ সালের পরিবেশ সংরক্ষণ আইনে জলাভূমি ভরাট করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। আর ২০১২ সালে সংসদে অনুমোদন হওয়া জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী বিপন্নপ্রায় প্রাণী বসতি এলাকা ধ্বংস করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ।এ ব্যাপারে ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচার (আইইউসিএন), বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ইশতিয়াক উদ্দিন আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ওই চরটি উপকূলীয় জীববৈচিত্র্য ও মহা বিপদাপন্ন পাখি চামচ-ঠুঁনো বাটানদের বসতি এলাকা হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ। সেখানে রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসনের আগে সেখানকার প্রতিবেশব্যবস্থা ও জীববৈচিত্র্যের একটি মূল্যায়ন হওয়া প্রয়োজন। পরিবেশগত প্রভাব সমীক্ষা করে তারপর সেখানে পুনর্বাসন বা কোনো অবকাঠামো নির্মাণ করা যাবে কি না, সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।এদিকে জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর থেকেও রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ঠেঙ্গারচরে পুনর্বাসনের ব্যাপারে আপত্তি তোলা হয়েছে।অারও পড়ুন ঠেঙ্গারচর থেকে জালিয়ারচর
295,018
খেলা ডেস্ক
sports
খেলা
১৩ এপ্রিল ২০১৯, ১৪:০৯
১৬ এপ্রিল ২০১৯, ১০:৪৮
আইপিএল,ক্রিকেট,টি টোয়েন্টি ক্রিকেট
null
জঙ্গি হামলার আশঙ্কায় আইপিএল?
http://www.prothom-alo.com/sports/article/1588623
ভারতীয় মিডিয়ার খবর, আইপিএলে জঙ্গি হামলার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। ধরা পড়া কয়েকজন জঙ্গিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এমন তথ্য পেয়েছে মুম্বাই পুলিশ। দরকার ছাড়া হোটেল থেকে ক্রিকেটারদের বেরোতে মানা করছে তারাচলছে আইপিএল। প্রতিবছরের মতো এবারও আইপিএলে নিরাপত্তাব্যবস্থা অত্যন্ত কড়া। এই কড়া নিরাপত্তাব্যবস্থা ভেদ করে আইপিএলে আসা বিদেশি খেলোয়াড়দের ওপর হামলা করার পরিকল্পনা করছে কিছু জঙ্গি—এমন খবর শোনা গেছে। আর এই আক্রমণের কেন্দ্রবিন্দু হতে পারে মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়াম। এ কারণে চূড়ান্ত সতর্ক অবস্থায় আছে মুম্বাই পুলিশ।ভারতের একাধিক গোয়েন্দা দপ্তরের পাওয়া খবর অনুযায়ী আশঙ্কা করা হচ্ছে, জঙ্গি হামলা হতে পারে আইপিএলে। দেড় বছর ধরে উত্তর প্রদেশসহ উত্তর ভারতের বিশাল এলাকাজুড়ে জঙ্গিদের গ্রেপ্তার করা শুরু করেছেন ভারতের জঙ্গি দমন শাখার কর্মকর্তারা। আটক হওয়া কয়েকজন জঙ্গিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই বিস্ফোরক তথ্য পেয়েছে ভারতের একাধিক গোয়েন্দা দপ্তরের কর্মকর্তারা। জানা গেছে, মুম্বাইয়ে আইপিএল চলাকালে বিদেশি খেলোয়াড়দের ওপর হামলা করার পরিকল্পনা আঁটছিল জঙ্গিরা। প্রাথমিক সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়ে গিয়েছিল। মুম্বাইয়ে খেলতে আসা বিদেশি খেলোয়াড়েরা যে হোটেলে থাকেন, সেই হোটেল ট্রাইডেন্ট থেকে শুরু করে মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়াম পর্যন্ত যাওয়ার রাস্তাগুলোয় বেশ কয়েকবার ঘুরেফিরে সম্ভাব্য হামলার জায়গা পছন্দ করে এসেছে জঙ্গিরা।জিজ্ঞাসাবাদে এই তথ্য পাওয়ার পরই চূড়ান্ত সতর্ক অবস্থা চালু করা হয়েছে। আরও নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য আদেশ দেওয়া হয়েছে মুম্বাই পুলিশকে। হোটেল ও রাস্তায় মোতায়েন করা হচ্ছে অতিরিক্ত নিরাপত্তারক্ষী বাহিনীর সদস্য। ঠিক করা হয়েছে, ক্রিকেটারদের মাঠ থেকে হোটেল এবং হোটেল থেকে মাঠ পর্যন্ত নিরাপত্তা দেবে ‘মার্কসম্যান কমব্যাট ভেহিকল’। ইতিমধ্যেই ক্রিকেটারদের সতর্ক করে দিয়েছে মুম্বাই পুলিশ। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া ও নিরাপত্তারক্ষী ছাড়া ক্রিকেটারদের হোটেলের বাইরে বের হতে নিষেধ করে দিয়েছে তারা।
397,847
বিনোদন ডেস্ক
entertainment
বিনোদন
০৯ জুলাই ২০১৬, ১৫:৫৯
০৯ জুলাই ২০১৬, ১৭:০২
বলিউড
0
সাধারণ থেকে অসাধারণ নানা পাটেকার
http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/909436
তিনি জীবনের শুরুর দিকে উপার্জনের জন্য রাস্তায় জেব্রা ক্রসিং আঁকতেন। প্রয়োজনে বলিউডের ছবির পোস্টার এঁকেও উপার্জনের চেষ্টা করেছেন তিনি। এসব করে মাস গেলে হাতে আসত মেরে-কেটে ৩৫ টাকা! তিনি ভারতীয় চলচ্চিত্রের একজন অত্যন্ত বলিষ্ঠ অভিনেতা নানা পাটেকর। তিন দশক ধরে বলিউড তাঁর নানা ধরনের অভিনয় দেখে আসছে। কখনো তিনি তাঁর অভিনয়ে মানুষকে হাসিয়েছেন, কখনো বা কাঁদিয়েছেন, কখনো বা ভাবতে বাধ্য করেছেন আমাদের দৈনন্দিনের অনেক অবহেলিত বিষয় নিয়ে। আজ সাফল্যের শিখরে পৌঁছেও তিনি কিন্তু বদলে যাননি। তিনি আজও সেই মাটির মানুষ। তাঁর বাস্তব জীবনটা আর সব তারকার তুলনায় আলাদা। পোশাক থেকে বাসস্থান—তাঁর জীবনযাত্রায় বিলাসিতা নেই এতটুকু। যাকে বলে একেবারে নিপাট সাদামাটা জীবন কাটাতেই ভালোবাসেন নানা। মুম্বাইয়ের একটা সাধারণ ছোট অ্যাপার্টমেন্টে মায়ের সঙ্গে থাকেন তিনি, যার বেডরুমের সংখ্যা মাত্র একটি। পাঠক হয়তো জেনে অবাকই হবেন, ভারতের অগণিত আমজনতার পাশে তিনি রয়েছেন ৩০ বছর ধরেই। বিগত ৩০ বছরে প্রতি মাসে নিজের উপার্জনের ৯০ শতাংশ মহারাষ্ট্রের গরিব মানুষদের দান করে চলেছেন নানা পাটেকর! মহারাষ্ট্র যে সময় খরার কবলে পড়ে এবং একের পর এক কৃষকের আত্মহত্যার খবর উঠে আসতে থাকে শিরোনামে, তখনো সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন নানা। মারাঠাওয়াড়ায় গিয়ে ১১২টি কৃষক পরিবারের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে দেখা করে প্রত্যেক পরিবারের হাতে তুলে দেন ১৫ হাজার টাকা। শুধু এখানে নয়, ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে ঘুরে আরও ৭০০টি কৃষক পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন নানা। তাঁদের অর্থনৈতিক সংকট মেটাবার চেষ্টা করেন নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী। যেসব কৃষক আত্মহত্যা করেছেন, তাঁদের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে তাঁদের স্বনির্ভর করে তুলতে বিভিন্নভাবে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন নানা। এসব কাজ দেখভালের জন্য তাঁর একটা স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাও রয়েছে। এই সংস্থার মাধ্যমে এ যাবৎ ২২ কোটি টাকা ব্যয় করেছেন কৃষকদের সাহায্যের জন্য। সূত্র: ইন্ডিয়ান টাইমস
238,739
নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
০৭ মে ২০১৭, ০০:৫১
০৭ মে ২০১৭, ০০:৫২
নান্দাইল,ময়মনসিংহ,ঢাকা বিভাগ
0
নিয়োগ পরীক্ষায় এত খরচ!
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1171131
ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার শেরপুর ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে নানা খাতে খরচ দেখিয়ে প্রায় ৭ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে একটি নিয়োগ পরীক্ষায় তিনি ব্যয় দেখিয়েছেন সাড়ে ৪ লাখ টাকার বেশি।মাদ্রাসাটির ব্যবস্থাপনা ও অর্থ নিরীক্ষা কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান গতকাল শনিবার বলেন, ওই ঘটনায় তিনি গত ১৯ মার্চ দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) অভিযোগ করেছেন।মাদ্রাসা সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালে মাদ্রাসাটিতে শিক্ষক-কর্মচারী হিসেবে ১৩টি পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। এ সময় মো. আজিজুল হক নামের এক ব্যক্তি আরবি বিষয়ের প্রভাষক হিসেবে নিয়োগ পান। তিনি মাদ্রাসার উন্নয়নে ৫ লাখ টাকা অনুদান দেন। মাদ্রাসাটির ব্যবস্থাপনা কমিটির অভিভাবক সদস্য মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও হেলাল উদ্দিন উন্নয়ন খাতে আরও ২ লাখ টাকা অনুদান দেন। এতে মাদ্রাসার আয় হয় ৭ লাখ টাকা। ২০১৬ সালের ১২ মার্চ সই করে মাদ্রাসাটির অধ্যক্ষ মো. শামছুল হক ফকির ওই নিয়োগ পরীক্ষাসহ ১৪টি খাতে ব্যয়ের বিবরণী অর্থ নিরীক্ষা কমিটির কাছে উপস্থাপন করেন। এতে তিনি ওই ৭ লাখ টাকাই ব্যয় দেখান। ওই বছরের সেপ্টেম্বরে অর্থ নিরীক্ষা কমিটি সভা করে এ বিবরণী প্রত্যাখ্যান করে। তাঁরা অধ্যক্ষকে প্রকৃত হিসাব দিতে বলেন। এরপরও টালবাহানা করে না দেওয়ায় গত ১৯ মার্চ দুদকে অভিযোগ করা হয়।দুদকের ময়মনসিংহ সমন্বিত জেলার উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম মুঠোফোনে বলেন, ‘আমাদের কাছে অভিযোগ এলে গুরুত্ব অনুযায়ী তা কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পাঠানো হয়। সেখান থেকে নির্দেশনা আসার পর তাঁরা তদন্ত করেন। ওই মাদ্রাসার অভিযোগটি কী অবস্থায় আছে তা নথি না দেখে বলা যাচ্ছে না।’দুদকে করা অভিযোগ ও হিসাব বিবরণীর অনুলিপি সূত্রে জানা যায়, হিসাব বিবরণীতে অধ্যক্ষ খরচের কয়েকটি খাত উল্লেখ করেন। এগুলো হলো নিয়োগ পরীক্ষায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের প্রতিনিধির আসা-যাওয়া ও তাঁর কার্যালয়ে চিঠি পাঠানো বাবদ ১ লাখ ৫ হাজার, বিশ্ববিদ্যালয়ের চারজন এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের (ডিজি) পাঁচজন প্রতিনিধির সম্মানী ভাতা, গাড়ি ভাড়া ও হোটেলে থাকা-খাওয়া বাবদ ৩ লাখ ৬২ হাজার ৮০০ টাকা। এ ছাড়া মাদ্রাসাটির সাবেক অধ্যক্ষের বরখাস্তবিষয়ক তদন্ত প্রতিবেদন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠানো ও এর চূড়ান্ত অনুমোদন আনার খরচ দেখানো হয়েছে ১ লাখ ৭২ হাজার টাকা।ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার এস এম আবদুল লতিফ মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় এ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি হিসেবে যাঁরা অংশ নেন, তাঁদের সম্মানী ভাতা মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ বহন করে। এর পরিমাণ জনপ্রতি ৫-৭ হাজার টাকা হতে পারে।মাদ্রাসাটির অধ্যক্ষ মো. শামছুল হক বলেন, এটি মাদ্রাসার গোপনীয় হিসাবের বিষয়। আপনার হাতে এ হিসাব গেল কীভাবে? হয়তো কেউ তাঁর সিল-সই জাল করে ওই হিসাব বিবরণী তৈরি করেছেন। তিনি সেটি দেননি।অর্থ নিরীক্ষা কমিটির প্রধান মো. খলিলুর রহমান বলেন, বিবরণীটি অধ্যক্ষই দিয়েছেন। একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধির পেছনে যে খরচ দেখানো হয়েছে তা কমিটির কাছে অবিশ্বাস্য মনে হয়েছে। তাই অধ্যক্ষকে প্রকৃত হিসাব পেশ করতে বলা হয়েছে। কিন্তু তিনি এখনো তা দেননি।মাদ্রাসাটির ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও ময়মনসিংহ-৯ (নান্দাইল) আসনের সাংসদ মো. আনোয়ারুল আবেদিন খান বলেন, তিনি এ বিষয়ে কিছু জানেন না।
316,043
এনডিটিভি
international
আন্তর্জাতিক
২৪ অক্টোবর ২০১৬, ০১:১৮
২৪ অক্টোবর ২০১৬, ০১:১৮
ভারত
0
বলিউড বিতর্কের অর্থ নিতে অস্বীকার ভারতীয় সেনাবাহিনীর
http://www.prothom-alo.com/international/article/1006201
সেনাবাহিনীকে রাজনীতিতে জড়ানোর চেষ্টার ঘটনায় ভারতের কয়েকজন জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তা ও প্রবীণ যোদ্ধারা অসন্তোষ জানিয়েছেন। মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা (এমএনএস) নামের রাজনৈতিক দলটি সম্প্রতি দাবি জানিয়েছে, করণ জোহরের অ্যায় দিল হ্যায় মুশকিল চলচ্চিত্রে পাকিস্তানি অভিনয়শিল্পীদের চুক্তিবদ্ধ করেছেন যেসব প্রযোজক, তাঁরা যেন সেনাকল্যাণ তহবিলে পাঁচ কোটি রুপি জমা দেন।পাকিস্তানি অভিনেতা ফাওয়াদ খান বলিউডের ওই ছবির একটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন। ঘটনাটি নিয়ে সাম্প্রতিক পাক-ভারত সম্পর্কের জেরে বিতর্ক শুরু হয়। এমএসএনের প্রধান রাজ থ্যাকারের তিনটি শর্ত প্রযোজকেরা মেনে নেওয়ার পরই ছবিটি মুক্তি দেওয়ার ‘সুযোগ’ পান। এসব শর্তের একটি হচ্ছে সেনাকল্যাণ তহবিলে পাঁচ কোটি রুপি দান।সেনাবাহিনীর একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা গতকাল রোববার বলেন, সেনাকল্যাণ তহবিলে লোকে স্বেচ্ছায় দান করে। চাঁদাবাজির সুযোগ সেখানে নেই। সেনাবাহিনীকে রাজনীতিতে টেনে নেওয়ার চেষ্টা দেখে তাঁরা নাখোশ হয়েছেন। কারণ সেনাবাহিনী সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক। তাদের রাজনীতিতে জড়ানোর চেষ্টা ঠিক নয়।ভারতের সাবেক সামরিক সচিব লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) সৈয়দ আতা হাসনাইন বলেন, তাঁরা এমএনএসের ওই শর্ত পূরণের জবরদস্তি কখনো সমর্থন করবেন না।
258,829
অনলাইন
entertainment
বিনোদন
০৫ এপ্রিল ২০১৪, ১৫:৪৬
০৫ এপ্রিল ২০১৪, ১৫:৪৮
টেলিভিশন
0
বাঁধনের ‘জীবনের গল্প’
http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/185314
‘জীবনের গল্প’ নামের নতুন একটি ধারাবাহিকে অভিনয় শুরু করেছেন লাক্স তারকাখ্যাত অভিনয়শিল্পী আজমেরী হক বাঁধন। মাইনুল হাসানের পরিচালনায় গতকাল শুক্রবার রাজধানীর উত্তরায় নাটকটির শুটিংয়ে অংশ নেন তিনি।‘জীবনের গল্প’ প্রসঙ্গে প্রথম আলোকে বাঁধন বলেন, ‘পারিবারিক টানাপোড়েনের চমত্কার একটি গল্প নিয়ে জীবনের গল্প নাটকটি নির্মিত হচ্ছে। নাটকটির গল্প যতটুকু পড়েছি, তাতে মনে হচ্ছে, ফিল্মি একটা ব্যাপার আছে, যা সাধারণত টিভি নাটকে খুব একটা দেখা যায় না। তাই শুটিং করেও বেশ ভালো লাগছে।’জানা গেছে, ‘জীবনের গল্প’ নাটকটিতে বাঁধন অভিনয় করছেন মীর সাব্বিরের বিপরীতে জুটি হয়ে। আর বাঁধনের মায়ের চরিত্রে অভিনয় করছেন দিতি।হুমায়ুন আহমেদের ‘বুয়া বিলাস’ নাটকের মাধ্যমে অভিনয়ে অভিষেক হয়েছিল ২০০৬ সালের ‘লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার’ প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় রানারআপ বাঁধনের। এরপর অসংখ্য টিভি নাটকে অভিনয় করেছেন তিনি। বিজ্ঞাপনচিত্রেও বাঁধনের উপস্থিতি সবার নজর কাড়ে। ২০১০ সালের ৮ সেপ্টেম্বর ঘরোয়া একটি অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ব্যবসায়ী মাশরুর হোসেনকে বিয়ে করেন বাঁধন। ২০১১ সালের ৬ অক্টোবর তিনি কন্যাসন্তানের মা হন। বাঁধনের মেয়ে মিশেল আমানীর বয়স এখন আড়াই বছর।
63,496
-1
life-style
জীবনযাপন
০৫ আগস্ট ২০১৪, ০০:২৭
০৫ আগস্ট ২০১৪, ০০:৩৭
জেনে নিন,নকশা
null
কাটাকাটির নানা ঢং
http://www.prothom-alo.com/life-style/article/282673
সাজিয়ে–গুছিয়ে খাবার পরিবেশন করতে চান সবাই। ফল ও সবজি পরিবেশনে বৈচিত্র্য আনতে এগুলোকে বিভিন্নভাবে কেটে সাজানো যায়। আবার কিছু রান্নায় বিশেষভাবে কাটতে হয় সবজি ও মাংস। এসব কাটাকাটির আছে নানা কৌশল। সেগুলোর আলাদা নামও রয়েছে। বিশেষ কোনো যন্ত্রপাতির প্রয়োজন নেই, বরং সাধারণ ছুরি দিয়েই কাটাকাটি করা যাবে। সবজি, ফল ও মাংস কাটার তেমন কিছু কৌশল দেখালেন রূপসী বাংলা হোটেলের সস শেফ এন্ড্রু রোজারিও।স্মল ডাইসপ্রথমে সবজির খোসা ছাড়িয়ে নিয়ে সেটির চারপাশ থেকে কেটে লম্বা ও চারকোনা একটি অংশ তৈরি করতে হবে। এটিকে চিকন করে কেটে কয়েকটি অংশে ভাগ করতে হবে। এই অংশগুলোর পুরুত্ব হবে ৬ মিলিমিটার। এবার এই লম্বা অংশগুলো থেকে ৬ মিলিমিটার মাপে কেটে নিলেই হয়ে যাবে স্মল ডাইস।অনিয়ন চপপেঁয়াজের খোসা ছাড়িয়ে অর্ধেক করে নিতে হবে। একটি অর্ধেক নিয়ে সেটির ভেতর দিক থেকে মাঝখান বরাবর কাটতে হবে। যে দুটি অংশ তৈরি হলো সেই অংশ দুটি একসঙ্গে রেখেই কুচি কুচি করে কেটে নিন। একইভাবে বাকি অর্ধেকও কেটে নিতে হবে।ওয়েজেসটমেটো অথবা এ ধরনের কোনো সবজি বা ফলকে এভাবে কাটা যায়। একটি টমেটোকে প্রথমে অর্ধেক করে নিয়ে সেটিকে সমান পুরুত্বের তিনটি অংশে ভাগ করে কাটতে হবে। এবার বাকি অর্ধেকটা অংশকেও একইভাবে কেটে নিতে হবে।জুলিয়ান কাটপ্রথমে খোসা ছাড়িয়ে লম্বা স্লাইস করে সবজিটি (যেমন-গাজর) কেটে নিতে হবে। এই স্লাইসগুলোর পুরুত্ব হবে আনুমানিক ৩ মিলিমিটার। এবার একটি স্লাইসের একপাশ থেকে কোনাকুনিভাবে কাটা শুরু করে পুরো স্লাইসটিকে লম্বা লম্বা অংশে ভাগ করে ফেলতে হবে। প্রতিটি লম্বা অংশের দৈর্ঘ্য হবে ৩-৫ সেন্টিমিটার এবং প্রস্থ ৩ মিলিমিটার। এভাবে প্রতিটি স্লাইস কাটলেই হয়ে গেল জুলিয়ান কাট। ফরাসি ভাষায় ‘জুলিয়ান’ শব্দের অর্থ ‘চিকন ও লম্বা করে কাটা’।স্লাইস বিফহাড় ছাড়ানো গরুর মাংস পাতলা করে কেটে নিতে হবে। প্রতিটি টুকরার দৈর্ঘ্য হবে ৩-৫ সেন্টিমিটার।স্লাইসযেকোনো সবজি বা ফল ৩-৫ সেন্টিমিটার লম্বা করে কেটে নিতে পারেন। তবে টুকরাগুলো পাতলা হতে হবে।ব্রুনাইজপ্রথমে সবজির (যেমন-গাজর) খোসা ছাড়িয়ে সেটি থেকে ৩ মিলিমিটার প্রস্থ ও ৩ মিলিমিটার পুরুত্বের লম্বা অংশ কেটে নিতে হবে। এরপর লম্বা অংশগুলো থেকে ৩ মিলিমিটার দৈর্ঘ্যের ছোট ছোট অংশ কেটে নিলেই হয়ে গেল ব্রুনাইজ কাট।ডায়মন্ড কাটপ্রথমে শসা বা কোনো সবজির খোসা ছাড়িয়ে বেশ পুরু স্লাইস নিতে হবে। এবার এই স্লাইসগুলোকে তিন কোনা টুকরা করে কাটতে হবে। যে ত্রিভুজাকৃতির টুকরা তৈরি হবে, তাদের তিন দিকের দৈর্ঘ্যই সমান হতে হবে।কিউব চিকেনমুরগির মাংসের হাড় ছাড়িয়ে নিতে হবে। এবার এক ইঞ্চি প্রস্থের কয়েকটি টুকরা করে নিতে হবে। এবার প্রতিটি টুকরাকে এক ইঞ্চি লম্বা করে কাটতে হবে।জার্ডিনিয়ারগাজর বা অন্য সবজি খোসা ছাড়িয়ে ৫-৬ সেন্টিমিটার করে টুকরা করতে হবে। এবার একটি টুকরার চারপাশ থেকে কেটে একটি চারকোনা অংশ তৈরি করতে হবে। এই চারকোনা অংশটি থেকে কয়েকটি স্লাইস কাটতে হবে। তারপর সেগুলোকে আবার চিকন করে কেটে নিন। টুকরাগুলোর পুরুত্ব হবে ১ সেন্টিমিটার।
82,622
অনলাইন ডেস্ক
technology
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
২১ মার্চ ২০১৮, ১২:৪২
২১ মার্চ ২০১৮, ১২:৫৩
খবরাখবর
0
নিউটনের পাশে সমাহিত হচ্ছেন হকিং
http://www.prothom-alo.com/technology/article/1454211
যুক্তরাজ্যের ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবেতে বিখ্যাত বিজ্ঞানী আইজ্যাক নিউটন ও চার্লস ডারউইনের পাশে সমাহিত হচ্ছেন তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং। ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবে চার্চ কর্তৃপক্ষ গতকাল মঙ্গলবার বলেছে, হকিংয়ের দেহভস্ম ওই দুই বিখ্যাত বিজ্ঞানীর পাশে সমাহিত করা হবে। এ বছরের শেষ দিকে থ্যাংকগিভিংস অনুষ্ঠানের পর তাঁকে সমাহিত করা হবে।স্টিফেন হকিংয়ের পরিবারের পক্ষ থেকে আগেই জানানো হয়, ৩১ মার্চ কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রেট সেন্ট ম্যারি চার্চে হকিংয়ের শেষকৃত্য হবে। হকিং তাঁর ৫২ বছরের কর্মজীবনে যে গনভিল ও কেইয়াস কলেজে কাজ করেছেন, ওই জায়গা এর খুব কাছে।১৪ মার্চ ৭৬ বছর বয়সে মারা যান স্টিফেন হকিং। শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে জয় করেও যিনি বিশ্বজুড়ে খ্যাতি পেয়েছিলেন।১৯৮৮ সালে তাঁর ‘আ ব্রিফ হিস্ট্রি অব টাইম’ বইটি বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়। বিজ্ঞানী হিসেবে নিউটন ও আইনস্টাইনের সঙ্গে তুলনা করা হয় হকিংকে।হকিংয়ের শেষকৃত্যে পরিবার, বন্ধু ও সহকর্মীরা আমন্ত্রণ পাবেন। হকিংকে শ্রদ্ধা ও সান্ত্বনার বার্তা পাঠানোয় তাঁর তিন সন্তান লুসি, রবার্ট ও টিম সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তাঁরা বলেছেন, তাঁদের বাবা কেমব্রিজে ৫০ বছরের বেশি কাজ করেছেন। এ শহর ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অবিচ্ছেদ্য এবং অত্যন্ত স্বীকৃত অংশ ছিলেন তিনি। এ কারণেই এখানে তাঁর শেষকৃত্য করা হচ্ছে। এ শহরকে তিনি খুব ভালোবাসতেন। তাঁর জীবন ও কর্ম অনেকের কাছে অনেক কিছু।ওয়েস্টমিনস্টারের ডিন জন হল বলেন, বিশিষ্ট সহকর্মী বিজ্ঞানীদের পাশে ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবেতে অধ্যাপক স্টিফেন হকিংকে সমাহিত করা হবে—এটা সম্পূর্ণ মানানসই হবে। ১৭২৭ সালে নিউটনকে এখানে সমাহিত করা হয়। তাঁর পাশে ১৮৮২ সালে সমাহিত করা হয় ডারউইনকে। এ ছাড়া সাম্প্রতিক কালে ১৯৩৭ সালে পরমাণুবিজ্ঞানী আর্নেস্ট রাদারফোর্ড ও ১৯৪০ সালে জোসেফ জন থম্পসনকে এখানে সমাহিত করা হয়।যুক্তরাজ্যের আট প্রধানমন্ত্রীর পাশাপাশি অনেক রাজা ও রানি সমাধিস্থ হয়েছেন ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবেতে।
358,581
-1
bangladesh
বাংলাদেশ
২৯ জুন ২০১৬, ০০:১০
২৯ জুন ২০১৬, ০১:১১
চট্টগ্রাম,চট্টগ্রাম বিভাগ,মহানগর
0
চট্টগ্রামে আজ
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/902611
কারিতাস: ‘পাহাড়ধস ব্যবস্থাপনা ও আমাদের করণীয়’ শীর্ষক সেমিনার, বেলা তিনটায়, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেক মিলনায়তনে।বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, চট্টগ্রাম জেলা ইউনিট কমান্ড: ইফতার ও দোয়া মাহফিল, সন্ধ্যা ছয়টায়, রীমা কনভেনশন সেন্টার, জামালখান।
236,903
নিজস্ব প্রতিবেদক
entertainment
বিনোদন
১০ অক্টোবর ২০১৩, ০০:০৬
১০ অক্টোবর ২০১৩, ০০:০৬
বিনোদন
0
পুরস্কার এবার পাঁচটি বিভাগে
http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/54350
বাংলাদেশের তরুণদের সাহিত্যচর্চা ও সাধনাকে আরও গতিশীল করতে ‘এইচএসবিসি-কালি ও কলম তরুণ কবি ও লেখক পুরস্কার’ দেওয়া হচ্ছে ২০০৮ সাল থেকে। সাহিত্যের বিকাশকে আরও প্রাণবন্ত করার লক্ষ্যে এ বছর পাঁচটি বিভাগে পুরস্কার দেওয়া হবে।এই বিভাগগুলো হলো প্রথম. কবিতা, দ্বিতীয়. ছোট গল্প ও উপন্যাস, তৃতীয়. প্রবন্ধ গবেষণা ও নাটক, চতুর্থ. মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গবেষণা বা প্রবন্ধ, পঞ্চম. শিশু-কিশোরদের জন্য রচিত কবিতা, গল্প ও উপন্যাস। গতকাল বুধবার সকালে বেঙ্গল ফাউন্ডেশন আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। প্রতিটিতে এক লাখ টাকা করে মোট পাঁচ লাখ টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে।আগামী ২২ ডিসেম্বরের মধ্যে পাঁচ কপি বই জমা দিতে হবে। সেই সঙ্গে একটি ঘোষণাপত্র দিতে হবে যে বইটি বাংলাদেশি লেখকের মৌলিক সাহিত্যকর্ম, লেখকের বয়স নির্ধারিত বয়ঃক্রমের মধ্যে এবং বইটি এই পুরস্কারের জন্য উপস্থাপন করা হচ্ছে। বয়স প্রমাণের জন্য জাতীয় পরিচয়পত্র অথবা সমমানের সনদের অনুলিপি দিতে হবে কালি ও কলম দপ্তরে (বেঙ্গল সেন্টার, প্লট ২, সিভিল এভিয়েশন, নিউ এয়ারপোর্ট রোড, পোস্ট-খিলক্ষেত, ঢাকা ১২২৯)।অনুষ্ঠানে এইচএসবিসির প্রধান নির্বাহী অ্যান্ড্রু টিল্ক বলেন, আন্তর্জাতিক ব্যাংক হিসেবে এ প্রতিষ্ঠানের সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে এ আয়োজন করা হয়।কালি ও কলম সম্পাদক আবুল হাসনাত বলেন, ২০১২ সালের জুলাই থেকে ২০১৩ সালের জুন পর্যন্ত প্রকাশিত গ্রন্থ এই প্রতিযোগিতায় গ্রহণযোগ্য হবে। তিনি আরও বলেন, শিশু ও কিশোরদের জন্য নতুন কিছু সৃষ্টির লক্ষ্যে এবার নতুন এ বিষয় যোগ করা হয়েছে।সংবাদ সম্মেলনে কালি ও কলম পত্রিকার সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য লুভা নাহিদ চৌধুরী এবং এইচএসবিসি যোগাযোগ বিভাগের প্রধান তালুকদার নোমান আনোয়ার বক্তব্য দেন।
23,331
অনলাইন ডেস্ক
technology
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
১৬ জানুয়ারি ২০১৯, ১৯:০০
১৬ জানুয়ারি ২০১৯, ১৯:০২
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি,খবরাখবর
null
ইন্টারনেট প্যাকেজের ন্যূনতম মেয়াদ হবে ৭ দিন: বিটিআরসি
http://www.prothom-alo.com/technology/article/1574855
মোবাইল ফোন অপারেটরদের দেওয়া ইন্টারনেট সেবায় সাত দিনের নিচে আর কোনো প্যাকেজ থাকবে না। আজ বুধবার এক মতবিনিময় সভায় এ কথা জানিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।বার্তা সংস্থা ইউএনবির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুধবার বিটিআরসির প্রধান কার্যালয়ে টেলিকম রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক বাংলাদেশের (টিআরএনবি) সদস্যদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বিটিআরসির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জহুরুল হক বলেন, মোবাইল ফোন অপারেটরদের দেওয়া ইন্টারনেট সেবায় সাত দিনের নিচে আর কোনো প্যাকেজ থাকছে না। আগামী ২৭ জানুয়ারি থেকে সিদ্ধান্তটি কার্যকর করতে খুব দ্রুতই মোবাইল ফোন অপারেটরদের কাছে চিঠি পাঠানো হবে।তবে এর আগেও বিটিআরসি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। পরে আবার তা থেকে সরে এসেছিল নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। এ ব্যাপারে জহুরুল হক বলেন, ‘ওই সময় সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও বেশির ভাগ মোবাইল ফোন কোম্পানির বহু প্যাকেজ থাকায় তা তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর করা যায়নি। ওই প্যাকেজগুলো আগামী ১ ফেব্রুয়ারির আগেই শেষ হয়ে যাবে।’বিটিআরসির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘এ বছর আমাদের বড় চ্যালেঞ্জ মোবাইল নেটওয়ার্ক ও ডাটার গুণগত সেবা নিশ্চিত করা। গুণগত সেবা না দিতে পারলে প্রয়োজনে অপারেটরদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ বর্তমানে প্রচুর কল ড্রপ হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, কল ড্রপের অনেক অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য দেন টিআরএনবি সভাপতি মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম সজল ও সাধারণ সম্পাদক সমীর কুমার দে। এ সময় বিটিআরসির কমিশনারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
387,129
অনলাইন ডেস্ক
technology
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪, ১১:২৬
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪, ১১:৩৩
-1
null
অফিস ৩৬৫ নিয়ে মাইক্রোসফটের কর্মশালা
http://www.prothom-alo.com/technology/article/138504
সম্প্রতি  অনলাইন অফিস স্যুট ‘অফিস ৩৬৫’ নিয়ে মাইক্রোসফট বাংলাদেশ আয়োজন করেছিল একটি কর্মশালা। ২৯ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত ‘ও৩৬৫ পার্টনারস রেডিনেস’ শীর্ষক একদিনের এ কর্মশালায় অংশ নিয়েছিল মাইক্রোসফটের পণ্য সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ও অন্যান্য ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো।কর্মশালা প্রসঙ্গে মাইক্রোসফট বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কর্মশালায় ক্লাউডভিত্তিক অফিস স্যুটটির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছে মাইক্রোসফট বাংলাদেশ। অফিস ৩৬৫ অফিস স্যুটটির মাধ্যমে ওয়ার্ড, এক্সেল, পাওয়ার পয়েন্ট প্রভৃতির সঙ্গে ক্লাউড সেবা পাওয়া যাবে।কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন মাইক্রোসফট বাংলাদেশের কর্মকর্তা পুবুদু বাসনায়েকে, রুমেসা হোসেন এবং এ.এস.এম. রাশেদুজ্জামান।মাইক্রোসফটের অফিস স্যুটের ফিচার ও সুবিধা বিষয়ক এ ধরনের কর্মশালা আগামীতে আবারও আয়োজন করবে মাইক্রোসফট বাংলাদেশ।
48,461
-1
opinion
মতামত
০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪, ০০:১৮
০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪, ০০:১৯
মতামত,সম্পাদকীয়:
0
গ্রামীণ ব্যাংক নিয়ে সংকট
http://www.prothom-alo.com/opinion/article/308389
ক্ষুদ্রঋণ ব্যবস্থাপনায় বিশ্বজোড়া সুখ্যাতি অর্জনকারী গ্রামীণ ব্যাংক থেকে নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে সরিয়ে দেওয়ার পর থেকে সরকার ব্যাংকটি নিয়ে বেকায়দায় পড়েছে, যার জন্য সে নিজেই সর্বতোভাবে দায়ী। সরকার তিন বছরেও গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়োগ করতে পারেনি। চেয়ারম্যান পদে একজনকে নিয়োগ দিয়েছিল; বছর খানেক আগে তিনি পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। কিন্তু পদটি গ্রহণে আর কেউ রাজি হননি বলে তাঁর পদত্যাগপত্র গৃহীত হয়নি। অর্থাৎ গ্রামীণ ব্যাংক চলছে চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছাড়াই।তারপর, ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদ নির্বাচনের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ যে বিধিমালা জারি করেছে, সেটাও বাস্তবায়িত হয়নি। বস্তুত এই বিধিমালা বাস্তবায়নযোগ্য নয়। এতে গ্রামীণ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ নির্বাচন করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংককে; কিন্তু এ ধরনের কাজ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নয়। গভর্নর আতিউর রহমান সে কথা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন।তাহলে সরকার এখন গ্রামীণ ব্যাংককে নিয়ে কী করবে?অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের কাছে এই প্রশ্নের সুনির্দিষ্ট উত্তর মেলেনি। তিনি বলেন, বিধিমালা পরিবর্তন করে গ্রামীণ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ নির্বাচনের দায়িত্ব বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিবর্তে অন্য কাউকে দেওয়া হবে। কিন্তু কাকে দেওয়া হবে, তা তিনি বলেননি।এভাবে তো চলতে পারে না। গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ পরিচালনা পর্ষদ নির্বাচন করা জরুরি। সরকারের ইতিমধ্যে উপলব্ধি করা উচিত যে এই বিশেষায়িত ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনায় হস্তক্ষেপ করা ঠিক হয়নি। সৃষ্টির পর থেকে তিন বছর আগ পর্যন্ত ব্যাংকটি যেভাবে চলে এসেছে, সেভাবে তাকে চলতে দেওয়াই সমীচীন ছিল। কারণ, গ্রামীণ ব্যাংক তার স্বতন্ত্র ব্যবস্থাপনা ও কর্মপদ্ধতির মধ্য দিয়ে ক্ষুদ্রঋণের মাধ্যমে দারিদ্র্য দূরীকরণে ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছিল।এখন সরকারের উচিত, গ্রামীণ ব্যাংকের ওপর থেকে সব ধরনের হস্তক্ষেপ তুলে নেওয়া, ব্যাংকটিকে নিজের মতো চলতে দেওয়া।
90,185
বগুড়া প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
০২ আগস্ট ২০১৫, ১৫:৩৪
০২ আগস্ট ২০১৫, ১৬:১৬
রাজশাহী বিভাগ,বগুড়া,দুর্ঘটনা
0
বেপরোয়া ট্রাক কেড়ে নিল প্রাণ, ট্রাকে আগুন
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/591493
বগুড়ায় শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে ঢাকা-রংপুর মহাসড়ক পার হচ্ছিলেন এক বৃদ্ধ। হঠাৎ বেপরোয়া গতির একটি ট্রাকের চাপায় নিহত হন তিনি। অজ্ঞাত ওই ব্যক্তির বয়স ষাট বছরের মতো ধারণা করছে পুলিশ। ঘটনার পর বিক্ষুব্ধ লোকজন ট্রাকটিতে আগুন ধরিয়ে দেন এবং চালককে তুলে দেন পুলিশের হাতে।প্রত্যক্ষদর্শী তিন থেকে চারজনের ভাষ্যমতে, আজ বেলা দেড়টার দিকে হাসপাতাল থেকে প্রধান ফটক দিয়ে বের হয়ে সামনের ওষুধের দোকানের দিকে যাওয়ার জন্য মহাসড়ক পার হচ্ছিলেন ওই ব্যক্তি। মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল এলাকা হলেও বেপরোয়া গতির একটি খালি ট্রাক বনানী মোড় এলাকা থেকে তিনমাথা রেলগেটের দিকে ছুটে আসছিল। এ সময় ট্রাকের চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে ট্রাকটি ওই বৃদ্ধকে চাপা দিয়ে পাশের খালে নেমে পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি। পরে ক্ষুব্ধ জনতা প্রথমে মহাসড়ক অবরোধ করেন। পরে চালককে আটক করে ট্রাকে আগুন ধরিয়ে দেন। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গিয়ে আগুন নেভান।বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল বাসার এই দুর্ঘটনা এবং পরবর্তী ঘটনার সত্যতা প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেন।হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কোনো স্বজনের ওষুধ কিনতেই ওই পথচারী মহাসড়ক পারাপার হচ্ছিলেন বলে ধারণা ওসির। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
156,765
ময়মনসিংহ অফিস।
bangladesh
বাংলাদেশ
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, ০০:৩৬
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, ০০:৩৭
ময়মনসিংহ,ঢাকা বিভাগ,বিশাল বাংলা
0
চক্ষুশিবির
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/463561
ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার হবিরবাড়ী বাজারে গতকাল শুক্রবার বিনা মূল্যে চক্ষুশিবিরের আয়োজন করা হয়। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা আসপাডা পরিবেশ উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের স্বাস্থ্য ও পুষ্টি কার্যক্রমের অংশ হিসেবে সংস্থাটি এ আয়োজন করে। ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক আবদুর রশিদ এ চক্ষুশিবিরের উদ্বোধন করেন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মুঞ্জুরুল হাসান খান, বিদ্যুৎ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল আলিম প্রমুখ।
119,209
খেলা ডেস্ক
sports
খেলা
২২ আগস্ট ২০১৮, ১৬:৫৪
২২ আগস্ট ২০১৮, ১৬:৫৬
ক্রিকেট
null
বোলার মাহমুদউল্লাহর চমক
http://www.prothom-alo.com/sports/article/1554636
গতকাল সিপিএলে মাহমুদউল্লাহ ৪ ওভারে ২০ রানে ২ উইকেট নিয়েছেন। দুটি উইকেট এসেছে তাঁর তিন বলের মধ্যে। তিন আর চারে নামা দুই ব্যাটসম্যানকে ফেরানো মানে তো মেরুদণ্ডে আঘাত। সেন্ট লুসিয়া আর সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি। অলআউট হয়েছে মাত্র ৬৯ রানেসিপিএল খেলার জন্য দেশের বাইরেই ঈদ উদ্‌যাপন করতে হচ্ছে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে। কিন্তু ঈদের আনন্দকে তো আর হাতছাড়া করা যায় না। ঈদের আনন্দকে খেলার মাঠেই ফিরিয়ে আনলেন যেন। মাহমুদউল্লাহ ও তাঁর সতীর্থদের অসাধারণ বোলিংয়ে ৭ উইকেটের বিশাল জয় পেয়েছে সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস প্যাট্রিয়টস।আগের ম্যাচে সিপিএলের রেকর্ড রান করে ১৪ ম্যাচ পর জয়ের দেখা পেয়েছিল সেন্ট লুসিয়া। অধিনায়ক কাইরন পোলার্ডের সেঞ্চুরিতে ২২৬ রানে ঠেকেছিল তাদের ইনিংস। কিন্তু সেন্ট লুসিয়া এক ম্যাচ পরেই আবার নিজেদের চেনা বৃত্তে। আবার সেই পুরোনো চেহারায়। তাতে সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস প্যাট্রিয়টসের বোলারদের ভূমিকাই বেশি।পুরো দলের মাঝে মাত্র দুজনকে দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে দিয়েছেন সেন্ট কিটসের বোলাররা। ১২.২ ওভারে মোট ৬৯ রানের মাঝে মাত্র দুজন দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছেছেন। ডেভিড ওয়ার্নার (১৪) আর আফগান ব্যাটসম্যান কায়েস আহমেদ (২৪)। বাকি সব ব্যাটসম্যানের রানগুলো পাশাপাশি বসালে টেলিফোন নম্বর হয়ে যায়। ৮, ৪, ২, ৪, ০, ০, ২, ১, ৬।২.৩ ওভার বল করে মাত্র ১৪ রানে ৩ উইকেট নিয়ে শেলডন কোটরেল মূল ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছেন। তাঁর সহযোগী ছিলেন লামিচানে ও মাহমুদউল্লাহ। লামিচানে দুই ওভারে ১৩ রানে ২ উইকেট ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ৪ ওভারে ২০ রানে ২ উইকেট। কোটরেলের মতো ৩ উইকেট নেননি, আবার লামিচানের চেয়ে বেশি রান দিয়েছেন। তবু মাহমুদউল্লাহর বোলিংয়ের গুরুত্বটাই অনেকে বড় করে দেখবেন।এবারের সিপিএলে মাত্র এক ওভার বোলিং করেছিলেন। কাল অধিনায়ক ক্রিস গেইল বোলিং ওপেন করতে কোটরেলের সঙ্গী হিসেবে মাহমুদউল্লাহকেই বেছে নিলেন। আর মাহমুদউল্লাহও দারুণভাবে আস্থার প্রতিদান দিলেন। নিজের প্রথম ওভারের পঞ্চম আর দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলে ফেরালেন কর্নওয়াল আর লেন্ডল সিমন্সকে। তিন বলের মধ্যে ২ উইকেট!তিন আর চারে নামা দুই ব্যাটসম্যানকে ফেরানো মানে তো মেরুদণ্ডে আঘাত। সেন্ট লুসিয়া আর সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি। অলআউট হয়েছে মাত্র ৬৯ রানে। সর্বোচ্চ ১৫টি ডট বল দিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ।৭০ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে হেসেখেলেই জিতে যাওয়ার কথা। কিন্তু এই রান করতেও ৩ উইকেটে পতন হয়। গেইলের বদলে ওপেন করতে নামা ডেভন টমাস শেষ পর্যন্ত মাঠে থেকে ২১ বলে ৩৮ রান করে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন। মাহমুদউল্লাহ ব্যাটিংয়ের সুযোগ পাননি। তবে যে বোলিংটা করেছেন, তাঁকে আরও বেশি করে ব্যবহার করতে উৎসাহী হবেন গেইল।এই জয়ে পয়েন্ট টেবিলের ৪ নম্বরে উঠে এল সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস প্যাট্রিয়টস। ৪ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট তাদের।দেশ আর পরিবারকে রেখে অনেক দূরে আছেন। ফেসবুক পেজে এক ভিডিওবার্তায় সবাইকে যে মিস করছেন, সেটিও বলেছেন। তবে মাহমুদউল্লাহ তাঁর ভক্তদের ঈদের উপহারটা দিতেও ভোলেননি।
374,431
রাজীব হাসান
sports
খেলা
০৭ আগস্ট ২০১৬, ০৩:০৯
০৭ আগস্ট ২০১৬, ০৩:১১
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট
0
ইতিহাসের প্রথম টেস্টে ‘ঢাকার ক্রিকেটার’!
http://www.prothom-alo.com/sports/article/938506
ক্যারিয়ারে একটাই টেস্ট ম্যাচ খেলেছেন। করেছেন মোটে ১৮ রান। এমন একজন ক্রিকেটারকে মনে রাখার কী এমন দায় পড়েছে ইতিহাসের? তাঁর তো বিস্মৃতির ধুলোতেই হারিয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু না, ব্র্যানসবি কুপারকে মনে রাখতেই হবে ইতিহাসের। তিনি না থাকলে হয়তো ক্রিকেট ইতিহাসে সেরা দল অস্ট্রেলিয়ার জন্মের গল্পটাই হতো অন্য রকম। কুপারকে মনে রাখবে বাংলাদেশও। ইতিহাসের প্রথম টেস্টে খেলা বিবি কুপার যে জন্মেছিলেন আমাদের এই বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়!১৮৭৭ সালের ১৫ মার্চ মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে (এমসিজি) মুখোমুখি হয়েছিল অস্ট্রেলিয়া আর ইংল্যান্ড। চমকে দিয়ে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে দিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। আর সেই দলের মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান ছিলেন কুপার। সাধারণত উইকেটকিপিং করলেও সেই ম্যাচে অবশ্য পুরোদস্তুর ব্যাটসম্যান হিসেবেই খেলেছিলেন। যদিও প্রথম ইনিংসে করেছেন ১৫, দ্বিতীয় ইনিংসে ৩।অথচ দলের সেরা ব্যাটসম্যানদের একজন ছিলেন নিঃসন্দেহে। অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটের ভিত্তি যখন তৈরি হচ্ছিল, কুপার গেঁথেছেন অসংখ্য অবদানের ইট। এ কারণে প্রথম টেস্টে অস্ট্রেলিয়াকে তাঁরই নেতৃত্ব দেওয়ার কথা ছিল। যদিও শেষ পর্যন্ত খেলোয়াড়দের মনোনয়নের ভিত্তিতেই অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক নির্বাচিত হন ডেভ গ্রেগরি।এই কুপারের জন্ম হয়েছিল তখনকার ব্রিটিশ ভারতের অন্যতম প্রধান শহর ঢাকায়। ১৮৪৪ সালে। বাবা হেনরি কুপার ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির একজন বড় সাহেব হিসেবে ঢাকায় চাকরি করতে এসেছিলেন। ভারতে তখনো অবশ্য কোম্পানি শাসন চলছে। ব্রিটিশ সরকার সরাসরি ক্ষমতা নেয়নি। লন্ডনের খুবই নামজাদা পরিবারের সন্তান ছিলেন হেনরি। তাঁর বাবা মানে ব্র্যানসবি কুপারের দাদা ব্লেক কুপার ছিলেন রয়্যাল সোসাইটির একজন ফেলো।১৮৪০ সালে হেনরির সঙ্গে বিয়ে হয় ম্যারিঅ্যান সুইনহোর। ধারণা করা হয়, বিয়ের পরপরই তিনি চাকরি নিয়ে চলে আসেন ভারতে। ঢাকায় কোম্পানি সার্ভিসে চাকরি করার সময়ই হেনরির দ্বিতীয় সন্তান ও প্রথম পুত্র হিসেবে জন্ম হয় ব্র্যানসবি কুপারের, ক্রিকেটে যিনি বিবি কুপার নামে পরে পরিচিত হন।বিবি কুপার নিজেও বেশি দিন ব্রিটিশ ভারতে থাকেননি। চলে গিয়েছিলেন ইংল্যান্ডে। তবে এই ঢাকায়ই নাড়িপোঁতা আছে তাঁর। ১৮৪৪ সালের ১৬ জুলাই ঢাকারই একটি চার্চে তাঁকে ব্যাপ্টাইজ করা হয়েছিল। এখানেই প্রথম হামাগুড়ি দিয়েছেন, হয়তো হাঁটতেও শিখেছেন। সঠিক ইতিহাস পাওয়া না গেলেও কল্পনা করতে তো ক্ষতি নেই, এই ঢাকারই কোনো একটা প্রাসাদসম বাড়ির ঘাসঢাকা উঠোনে বাবার সঙ্গে প্রথম খেলেছিলেন ক্রিকেট! ঢাকার কোনো নথিপত্রে সেই উঠোন চিহ্নিত করার আর কোনো উপায় নেই।ইতিহাসের প্রথম টেস্টের পরের বছর অস্ট্রেলিয়া দল প্রথম সফরে আসে ইংল্যান্ডে। কিন্তু সেই দলে রাখা হয়নি ব্র্যানসবি কুপারকে। অথচ কেন্ট বা মিডলসেক্সের হয়ে ইংলিশ ক্রিকেটে খেলার তাঁর যে দীর্ঘ অভিজ্ঞতা, ইংলিশ কন্ডিশনে কুপার সফলই হতেন। উল্টো আরও একটি আক্ষেপের অধ্যায় যুক্ত হলো কুপারের জীবনে। শেষ পর্যন্ত ক্রিকেট ক্যারিয়ারটাই শেষ হয়ে গেল। একটা অপূর্ণতা নিয়েই।প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটেও তাঁর রেকর্ড আহামরি গোছের কিছু নয়। বরং মনে হবে, ব্যাটসম্যান হিসেবে খুব একটা সুবিধার ছিলেন না বুঝি। ৫০টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচে ১৬০০ রান আর ২০.৫১ গড় কিন্তু আদতে শুভংকরের ফাঁকি। শুধু পরিসংখ্যানে খুঁজলে কুপারকে পাওয়া যাবে না, চেনা যাবে না। বোঝা যাবে না ক্রিকেটে তাঁর অবদান।ক্রিকেট কুপারকে মনে রাখবে ডব্লু জি গ্রেসের সঙ্গে তাঁর অসাধারণ কিছু জুটির রেকর্ডের জন্যও। এর মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত হয়ে আছে ১৮৬৯ সালে জেন্টলম্যান বনাম প্লেয়ার্সদের ম্যাচে (সে সময় অপেশাদার ক্রিকেটার জেন্টলম্যানদের নিয়ে গড়া দল ফার্স্ট ক্লাস ম্যাচে মুখোমুখি হতো পেশাদার ক্রিকেটার প্লেয়ার্সদের দলের) ডব্লু জি গ্রেসের সঙ্গে উদ্বোধনী জুটির ২৮৩ রান। ৩ ঘণ্টা ৪০ মিনিটের এই জুটিতে গ্রেস করেছিলেন ১৮০, কুপার ১০১। যেটি রেকর্ড হিসেবে টিকেছিল পরের ২৩ বছর।গ্রেসের সঙ্গে এর আগে-পরে আরও কিছু দারুণ জুটি গড়েছিলেন। বয়সে তাঁর চেয়ে চার বছরের ছোট, সে সময়ের তরুণ গ্রেসের প্রতিও তাঁর অবদান আছে, বড় ভাই হিসেবে অনেক সময়ই পথ দেখিয়েছেন সামনে থেকে। এই গ্রেসই কিন্তু পরে আধুনিক ক্রিকেটের জনক হিসেবে বিখ্যাত হন। ক্রিকেটের সেই বিখ্যাত, সুরসিক দাড়িওয়ালা ভদ্রলোক।১৮৬৯ সালের পরপরই যুক্তরাষ্ট্রে কিছুদিন কাটিয়ে কুপার চলে যান অস্ট্রেলিয়ায়। সেখানেই থিতু হন। অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট তখন একেবারেই হামাগুড়ি দিচ্ছে। ভিক্টোরিয়া আর নিউ সাউথ ওয়েলসই মূলত দাঁড় করিয়ে দিয়েছে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট। আর ভিক্টোরিয়ার ক্রিকেটকে দাঁড় করিয়ে দিয়েছেন কুপার। যে গ্রেস একসময় তাঁর সবচেয়ে কাছের বন্ধু ছিলেন ক্রিকেট মাঠে, তাঁর দলের বিপক্ষেই ১৮৭৩ সালে একটি ম্যাচ খেলেন কুপার। চার বছর পর অস্ট্রেলিয়া আর ইংল্যান্ডের প্রতিনিধিত্বে এমসিজিতে সূচনা হয় টেস্ট ক্রিকেটের। ১৫ মার্চ, নিজের ৩৩তম জন্মদিনে টেস্ট অভিষেক হয় কুপারেরও।কুপার অস্ট্রেলিয়াতেই বাকি জীবন কাটিয়েছেন। মারাও গেছেন সেখানেই। আজ ৭ আগস্ট তাঁর ১০২তম মৃত্যুবার্ষিকীতে ‘ঢাকার সন্তান’ কুপারকে স্মরণ করাই তো যায়!
247,289
ক্রীড়া প্রতিবেদক
sports
খেলা
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ০১:২৩
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ০১:২৪
খেলা
0
আন্তস্কুল বাস্কেটবল
http://www.prothom-alo.com/sports/article/1089286
বালক বিভাগের সেমিফাইনালে উঠেছে চট্টগ্রাম গ্রামার, সেন্ট গ্রেগরি, সেন্ট নিকোলাস ও গ্রিন হেরাল্ড স্কুল। বালিকা বিভাগের সেমিফাইনালে উঠেছে আরজত আতরজান উচ্চবিদ্যালয়, দিল্লি পাবলিক, সানবিমস ও গ্রিন হেরাল্ড।ধানমন্ডি বাস্কেটবল জিমনেসিয়ামে বালিকা বিভাগে কাল গ্রিন হেরাল্ড ৩২-০ পয়েন্টে গ্রিন জেমসকে, সানবিমস ১৯-১ পয়েন্টে বিএফটিএসকে, দিল্লি পাবলিক স্কুল ৮-৬ পয়েন্টে বিএফটিএসকে, আরজত আতরজান ২২-০ পয়েন্টে গ্রিন জেমসকে হারিয়েছে।
296,925
টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
১৫ আগস্ট ২০১৭, ১৪:৪৫
১৫ আগস্ট ২০১৭, ১৫:৩১
কক্সবাজার,দুর্ঘটনা,চট্টগ্রাম বিভাগ,টেকনাফ
0
সাগরে গোসল করতে নেমে স্কুলছাত্রের মৃত্যু
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1290201
কক্সবাজারের টেকনাফে সাগরে গোসল করতে নেমে নাহিদুল ইসলাম (১১) নামের এক স্কুলছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। সে টেকনাফ উপজেলার শাহপরীর দ্বীপ উত্তরপাড়ার বাসিন্দা আহমদ হোসেনের ছেলে।আজ মঙ্গলবার সাড়ে নয়টার দিকে উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপ পশ্চিমপাড়ার সমুদ্রসৈকতে ঘটনাটি ঘটে।জানতে চাইলে শাহপরীর দ্বীপ উত্তরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শশাঙ্ক মোহন পাল বলেন, জাতীয় শোক দিবসের শোভাযাত্রা শেষে স্কুল ছুটি দেওয়া হয়। সব শিক্ষার্থী নিজ নিজ বাড়িতে গেলেও কিছু শিক্ষার্থী সমুদ্রসৈকতে ফুটবল খেলতে যায়। সেখানে স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র নাহিদুলের মৃত্যু হয়।নাহিদের বাবা আহমদ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, সকাল সাড়ে সাতটার দিকে স্কুলের উদ্দেশে নাহিদুল বাড়ি থেকে বের হয়। পরে স্কুল থেকে কয়েকজন সহপাঠী মিলে সৈকতে ফুটবল খেলতে যায়। খেলা শেষে তারা ফুটবল নিয়ে সাগরে গোসল করতে নামে। একপর্যায়ে বলটি ভেসে যায়। নাহিদ সেটি আনতে গিয়ে স্রোতের টানে ডুবে যায়। ওই সময় অন্যরা চিৎকার করলে আশপাশের জেলেরা তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় পল্লি চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান। তিনি নাহিদুলকে মৃত ঘোষণা করেন।সাবরাং ইউপির ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রেজাউল করিম বলেন, পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে এবং লাশটি দাফনের অনুমতি নেওয়া হচ্ছে।টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাইন উদ্দিন খান বলেন, স্থানীয় ইউপি সদস্যের মাধ্যমে এক স্কুলের শিক্ষার্থীর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
332,839
সাধন বিকাশ চাকমা, বাঘাইছড়ি
bangladesh
বাংলাদেশ
২৪ মার্চ ২০১৬, ০০:৩২
২৪ মার্চ ২০১৬, ০০:৫১
আমার চট্টগ্রাম
0
ওদের সহায় এলাকাবাসী
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/807985
মাচালং বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী পদ মোহন ত্রিপুরার বাবা-মা কেউই বেঁচে নেই। দুই বছর আগে বাবা ও বছর খানেক আগে মা মারা যাওয়ার পর ভাইবোনদের আশ্রয় হয়েছে আত্মীয়স্বজনদের বাড়িতে। আর পদ মোহনের ঠিকানা হয়েছে সাজেকের মাচালং এলাকার অনাথ ত্রিপুরা ছাত্রাবাসে।পদ মোহনের মতো ২৫ জন এতিম ত্রিপুরা শিশুর পক্ষে লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে সাজেক অনাথ ত্রিপুরা ছাত্রাবাসের কারণে। রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ইউনিয়নের মাচালং এলাকায় অবস্থিত এই ছাত্রাবাসটি চলে স্থানীয় লোকজনের সাহায্য–সহযোগিতায়। স্থানীয় বাসিন্দারা ছাত্রাবাসটি পরিচালনা করার জন্য একটি কমিটিও গঠন করেছেন। শিক্ষার্থীদের থাকা, খাওয়া ও বেতন-ফি মেটাতে ঘরে ঘরে গিয়ে চাঁদা তোলেন কমিটির সদস্যরা। এরপরও প্রয়োজনের তুলনায় টাকার জোগান কম হওয়ায় ছাত্রাবাসে কষ্টে দিন কাটছে শিক্ষার্থীদের।ছাত্রাবাস পরিচালনা কমিটির সদস্যরা জানান, মাচালং বাজারের আধা কিলোমিটার দূরে এক একর জমির ওপর ২০১২ সালে এই ছাত্রাবাসটি প্রতিষ্ঠিত হয় এলাকার ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের লোকজনের উদ্যোগে। ওই বছরের ৬ নভেম্বর দুই কক্ষের একটি বেড়ার ঘরে ১০ জন অনাথ ত্রিপুরা শিশু নিয়ে চালু হয় এই ছাত্রাবাস। ২০১৩ সালে শেষের দিকে রাঙামাটি জেলা পরিষদ বেড়ার ঘরটি সংস্কার করার জন্য দুই লাখ টাকা অনুদান দেয়। সেই টাকা দিয়ে একটি থাকার ঘর ও রান্নাঘর নির্মাণ করা হয়। পরে ২০১৪ সালে শিক্ষার্থীদের সংখ্যা বেড়ে গেলে কক্ষ বাড়ানোর জন্য জেলা পরিষদ আরও চার লাখ টাকা অনুদান দেয়। অনুদানের টাকা ও এলাকাবাসীর চাঁদায় ছাত্রাবাসটি পাকা করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। একতলা পাকা করা হলেও মাঝপথে টাকার অভাবে আবার থমকে যায় দোতলার কাজ। এরপর জেলা পরিষদ ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ছাত্রাবাসটি নির্মাণকাজ শেষ করার জন্য আরও ১৫ লাখ টাকা অনুমোদন দেয়। বর্তমানে ছাত্রাবাসটির দোতলার কাজ চলছে।ছাত্রাবাস পরিচালনা কর্তৃপক্ষ আরও জানায়, বর্তমানে এখানে ২৫ জন এতিম ও দুস্থ পরিবারের শিশু থাকছে। এরা এলাকার বিভিন্ন বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী।সরেজমিনে দেখা গেছে, ১৫ বাই ২০ ফুট আয়তনের ছোট ছোট কক্ষে ৯ থেকে ১০ জন শিশু মেঝেতে মাদুর বিছিয়ে থাকছে। নেই পানীয়জলের বন্দোবস্ত। রিংওয়েল কিংবা টিউবওয়েল না থাকায় ছড়ার পানি পান করতে হয় শিশুদের। বাঁশের বেড়া দিয়ে নির্মিত শৌচাগার জীর্ণ হয়ে পড়েছে। পরিবেশও অপরিচ্ছন্ন।শিশুদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ১৫ জনের পরিচালনা পরিষদের সদস্যরা পালাক্রমে শিশুদের সঙ্গে থাকেন। বাজার ও রান্নার খরচ জোগানো হয় কমিটির পক্ষ থেকে।ছাত্রাবাস পরিচালনা কমিটির সভাপতি মাচালং গ্রামের কারবারি মেহেন্দ্রলাল ত্রিপুরা বলেন, শিশুদের খাওয়া–থাকা ওষুধপথ্যের খরচ মেটাতে মাসে ৫০ হাজার টাকা প্রয়োজন হয়। তবে অনাথ শিক্ষার্থীদের আত্মীয়স্বজন ও এলাকাবাসীর চাঁদা থেকে ৩০-৩৫ হাজার টাকা পাওয়া যায়। কয়েকজন শিক্ষার্থীর বাড়ি থেকে কিছু চালও পাঠানো হয়। তবে তা পর্যাপ্ত নয়। সব মিলিয়ে শিশুদের মাথা গোঁজার ঠাঁই হলেও খাবারের খরচ মেটাতে হিমশিম খেতে হয় কর্তৃপক্ষকে।অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী তৃতীয়ান ত্রিপুরা ছাত্রাবাসের শিশুদের জন্য প্রতিদিন বাজার করে। সে জানায়, শিক্ষার্থীদের তিন বেলা খাবারের জন্য মাথাপিছু ৫০ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। মাছ, ডিম কিংবা সবজি থাকে প্রতি বেলায়।ছাত্রাবাস পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক দয়াল ত্রিপুরা বলেন, ‘এলাকাবাসীদের কাছ থেকে চাঁদা তুলে শিশুদের থাকা-খাওয়ার খরচ মেটাতে হয়। তবে বর্ষা মৌসুমে চাঁদা তেমন ওঠে না। তখন শিক্ষার্থীদের খরচ জোগানো মুশকিল হয়ে পড়ে। সরকারের সাহায্য না পেলে শিশুদের ভরণ-পোষণ আমাদের একার পক্ষে সম্ভব হবে না।’সাজেক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অতুলাল চাকমা বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে ছাত্রাবাসে নিয়মিত বরাদ্দ দেওয়ার সুযোগ নেই। তারপরও মাঝেমধ্যে দুই থেকে তিন বস্তা করে চাল সাহায্য হিসেবে দেওয়া হয়।রাঙামাটি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বৃষকেতু চাকমা বলেন, জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে ত্রিপুরা ছাত্রাবাসের জন্য ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ভবন নির্মাণের জন্য ১৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। তবে এতিম শিক্ষার্থীদের খাবারের খরচ দেওয়া জেলা পরিষদের পক্ষে সম্ভব নয়। এ জন্য মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন আনতে হবে।
213,825
মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
bangladesh
বাংলাদেশ
১৯ নভেম্বর ২০১৬, ০০:৪৭
১৯ নভেম্বর ২০১৬, ০০:৪৮
মির্জাপুর,টাঙ্গাইল,বিশাল বাংলা
0
নতুন কমিটি
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1023577
টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার ওয়ার্শী ইউনিয়ন বিএনপির নতুন কমিটি গত বৃহস্পতিবার গঠন করা হয়েছে। এতে নজরুল ইসলাম খানকে সভাপতি ও লিপটন আহমেদ মল্লিককে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে। এ উপলক্ষে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে কররা কাউলজানী দাখিল মাদ্রাসার মাঠে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে অন্যান্যের মধ্যে বিএনপির শিশুবিষয়ক সম্পাদক স্থানীয় সাবেক সাংসদ আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী, উপজেলা বিএনপির তিন সহসভাপতি মৃধা নজরুল ইসলাম, আলী এজাজ খান চৌধুরী রুবেল ও আবদুল কাদের সিকদার, সাধারণ সম্পাদক তারিকুল ইসলামও টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সদস্য ফিরুজ হায়দার খান প্রমুখ বক্তৃতা করেন।
266,808
প্রতিনিধি, যশোর
bangladesh
বাংলাদেশ
১১ মে ২০১৮, ১৭:৫২
১২ মে ২০১৮, ১১:৫৭
সোনা,অপরাধ,পাচার,যশোর
0
বেনাপোল সীমান্তে ৩৪টি সোনার বার জব্দ করেছে বিজিবি
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1486826
যশোরের বেনাপোল সীমান্তে পাচারকারীর ছুড়ে ফেলা প্যাকেটে ৩৪টি সোনার বার পাওয়া গেছে। আজ শুক্রবার সকালে বেনাপোলের কাঁচাবাজার এলাকায় ওই প্যাকেটটি জব্দ করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। বিজিবি বলছে, জব্দ হওয়া এসব সোনার ওজন ৩ কেজি ৯৬০ গ্রাম। বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, সকাল ১০টার দিকে স্কচটেপ দিয়ে মোড়ানো একটি প্যাকেট হাতে এক ব্যক্তি হেঁটে ভারত সীমান্তের দিকে যাচ্ছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বেনাপোল কাঁচাবাজার এলাকায় পৌঁছার পর তাঁকে ধাওয়া করা হয়। একপর্যায়ে ওই ব্যক্তি প্যাকেটটি ছুড়ে ফেলে পালিয়ে যান। পরে প্যাকেটটিতে ৩৪টি সোনার বার পাওয়া যায়।বিজিবি বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট (আইসিপি) ক্যাম্প কমান্ডার সুবেদার আবদুল ওয়াহাব বলেন, ‘জব্দ হওয়া এসব সোনার বারের ওজন ৩ কেজি ৯৬০ গ্রাম। দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ায় পাচারকারীকে আটক করা সম্ভব হয়নি। সোনার বারগুলো বেনাপোল থানায় জমা দেওয়া হয়েছে।’
363,555
মহানগর ডেস্ক
bangladesh
বাংলাদেশ
১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫, ০১:৪৪
১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫, ০১:৪৬
মহানগর
0
চার বিভাগে ১৬৫ করদাতা সম্মানিত
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/632854
‘সমৃদ্ধির সোনালি দিন আনতে হলে আয়কর দিন/ সুখী স্বদেশ গড়তে ভাই আয়করের বিকল্প নাই’ প্রতিপাদ্য নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার দেশের বিভাগীয় শহরগুলোতে শুরু হয়েছে আয়কর মেলা। এবার চার বিভাগে ১৬৫ জন সেরা ও দীর্ঘমেয়াদি করদাতাকে সম্মাননা জানানো হয়েছে।বরিশালে সকালে নগরের ক্লাব রোড এলাকার আঞ্চলিক কর কার্যালয় থেকে শোভাযাত্রার মাধ্যমে শুরু হয় আয়কর দিবসের কর্মসূচি। শোভাযাত্রা ও আয়কর মেলার উদ্বোধন করেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। নগরের অশ্বিনীকুমার হলে সপ্তাহব্যাপী আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, আয়কর রাষ্ট্রের মূল সোপান। নাগরিকেরা নিয়মিত আয়কর দিলে রাষ্ট্র কখনোই অর্থসংকটে পড়বে না।বরিশাল কর অঞ্চলের কর কমিশনার মো. জাহিদ হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার মো. গাউস, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য চৌধুরী আমির হোসেন, বরিশাল শিল্প ও বণিক সমিতির সভাপতি সাইদুর রহমান। বরিশালে ৩৫ জন করদাতাকে সম্মাননা জানানো হয়।রংপুর বিভাগে সম্মাননা জানানো হয় ৪৫ জন করদাতাকে। জেলা পরিষদ কমিউনিটি সেন্টার মিলনায়তনে তাঁদের হাতে এই সম্মাননা পদক তুলে দেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মসিউর রহমান। রংপুরের কর কমিশনার অনিমেষ রায়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিভাগীয় কমিশনার মুহাম্মদ দিলোয়ার বখত, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য মীর মুস্তাক আলী, অতিরিক্ত কর কমিশনার আবদুস শহীদ কবির, কাস্টমস ও ভ্যাট কমিশনার মজিবর রহমান। খুলনায় আয়কর দিবস পালিত হয়েছে শোভাযাত্রা ও আলোচনার মধ্য দিয়ে। সম্মাননা জানানো হয় বিভাগের মোট ৫৫ জন করদাতাকে।নগরের খালিশপুর ফেয়ারওয়ে হলে এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ। খুলনা কর অঞ্চলের কর কমিশনার সুনীল কুমার সাহার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তৃতা করেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য লোকমান চৌধুরী, খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি এস এম মনির-উজ-জামান, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) মোহাম্মদ ফারুক হোসেন, খুলনা চেম্বারের সভাপতি কাজী আমিনুল হক প্রমুখ। রাজশাহী কর অঞ্চলের আয়োজনে সকালে আঞ্চলিক কর অফিস থেকে শোভাযাত্রা বের হয়। দুপুরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মিলনায়তনে হয় আলোচনা। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় সংসদের হুইপ শহীদুজ্জামান সরকার।রাজশাহী কর অঞ্চলের কর কমিশনার দবির উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার হেলালুদ্দীন আহমদ, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য ফিরোজ শাহ আলম, কর কমিশনার হাফিজ আহমেদ মুর্শেদ, রাজশাহী রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) ইকবাল বাহার, কাস্টমস কমিশনার আবদুল মান্নান শিকদার। রাজশাহীর ৩০ জন করদাতাকে সম্মাননা জানানো হয়।{তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করেছেন নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী ও রংপুর, বরিশাল ও খুলনা অফিস}
169,390
প্রথম আলো ডেস্ক
bangladesh
বাংলাদেশ
০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৩, ০২:৫২
০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৩, ০২:৫৪
রাজনীতি
0
বর্তমান সংবিধানের কাঠামোর ভেতরেই সমাধান সম্ভব
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/45827
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিএনপি নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের যে দাবি জানাচ্ছে, সরকার নীতিগতভাবে রাজি থাকলে বর্তমান সংবিধানের কাঠামোর ভেতরেই তার সমাধান সম্ভব। গতকাল রোববার তিনি বিবিসি বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন।মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সরকার যদি নীতিগতভাবে একমত হয়, নির্দলীয় সরকারের বিষয়ে তারা কাজ করবে বা বিষয়টি নিয়ে তারা বিরোধী দলের সঙ্গে আলোচনা করবে, তাহলে একটা উপায় বের করা যাবে। বর্তমান সংবিধান রেখেই হোক বা অ্যামেন্ডমেন্ট করেই হোক, যেকোনোভাবে এটি করা যায়। কিন্তু সবার আগে কথা বলতে হবে। তবে সরকার কোনো কথাই বলছে না।’বিএনপি আলোচনা চাইছে কি না—প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, সরকারকে আগে নীতিগত-ভাবে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, যারা নির্বাচনের সময়ে নির্দলীয় সরকারের ব্যাপারটি মেনে নেবে। নির্দলীয় সরকার গঠন ও নির্বাচন নিয়ে বিএনপি কোনো ছাড় দিতে প্রস্তুত আছে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ছাড়ের কথা তখনই আসবে যখন কথা বলা হবে।
15,343