content
stringlengths 0
129k
|
---|
এ ক্ষেত্রে বীমাগ্রাহক এককালীন, বার্ষিক, ষান্মাসিক বা মাসিক কিস্তিতে প্রিমিয়াম পরিশোধ করে থাকে |
সুতরাং চুক্তি সম্পাদনের পর ঝুঁকি গ্রহনের প্রতিদান স্বরূপ বীমাগ্রহীতা কর্তৃক বীমাকারীকে নির্দিষ্ট সময় পর পর বা এককালীন অর্থ প্রদান করাকে প্রিমিয়াম বলে |
মোট বীমা অংক কী? |
মোট বীমা অংক হচ্ছে বীমাচুক্তির অধীনে বীমাকারীর আর্থিক দায়বদ্ধতার সীমাবদ্ধতা |
প্রিমিয়ামের হার কিভাবে নির্ধারণ করা হয়? |
এ্যাকচুয়ারী কর্তৃক বীমাবৃত ব্যক্তির নিকটতম বয়স, মোট বীমা অংক, বীমা পরিকল্প, পরিকল্পের মেয়াদ, পেশাগত ঝুঁকির প্রকৃতি, স্বাস্থ্যগত ও পারিবারিক ইতিহাস, আর্থিক অবস্থা, অভ্যাস ও নৈতিকতা, বার্ষিক আয়-ব্যয় বিবেচনা করে প্রিমিয়াম নির্ধারণ করা হয় |
মোট বীমা অংকের উপর এ্যাকচুয়ারী নির্ধারিত প্রতিহাজারে বার্ষিক প্রিমিয়ামের হার নির্ধারণ করে থাকেন |
বীমা পরিকল্প কী? |
বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে দেশের সকল শ্রেণী ও পেশার মানুষকে জীবন বীমা পলিসির আওতায় আনার লক্ষ্যে স্ব-স্ব শ্রেণী ও পেশার উপযোগী জীবন বীমা গ্রহণের স্বার্থে এ্যাকচুয়ারীগণ বিভিন্ন বিষয়ের উপর যে বীমা স্কীম প্রণয়ন করে ও বীমা কোম্পানী বিপণন করে তা পরিকল্প নামে পরিচিত |
লাভজনক অলাভজনক টার্ম পরিকল্প কি? |
লাভজনক পরিকল্প (মেয়াদী বীমা)ঃ মেয়াদী বীমা পরিকল্প বিভিন্ন মেয়াদে হয়ে থাকে |
এই পরিকল্পের অধীনে বীমার মেয়াদপূর্তীতে বীমাগ্রহীতাকে বা তার আগে বীমাগ্রহীতার অকাল মৃত্যুতে শরীআহ ভিত্তিতে তার মনোনীতকে বীমাকৃত লাভ টাকা সহ প্রদান করা হয়ে থাকে |
অলাভজনক পরিকল্পঃ এই পরিকল্প বিভিন্ন মেয়াদে ও বিভিন্ন ফিচারে হয়ে থাকে |
এই পরিকল্পের অধীনে বীমার মেয়াদপূর্তীতে বীমাগ্রহীতাকে বা তার আগে বীমাগ্রহীতার অকাল মৃত্যুতে শরীআহ ভিত্তিতে তার মনোনীতকে সুবিধা প্রদান করা হয়ে থাকে এবং বছর শেষে কোনো মুনাফা ঘোষনা করা হয় না বিধায় এই ধরনের পরিকল্পের প্রিমিয়াম হার খুবই অল্প |
টার্ম পরিকল্পঃ টার্ম পলিসি বিভিন্ন মেয়াদে হয়ে থাকে |
বীমা পলিসি চলাকালীন বীমাগ্রাহকের মৃত্যু ঘটলে তার মনোনীতক বীমার শর্ত মোতাবেক বীমা অঙ্কের সমপরিমান অর্থ মৃত্যুদাবী হিসেবে পাবে |
কিন্তু পলিসির মেয়াদপূর্তীতে বীমাগ্রাহক জীবিত থাকলে মেয়াদান্তে কোনো অর্থ পাবে না |
এ ধরনের পরিকল্পের প্রিমিয়াম হার খুবই অল্প |
প্রিমিয়াম কেন বিনিয়োগ করা হয়? |
প্রিমিয়াম হল বীমাগ্রহীতার পক্ষে বীমাকারী কর্তৃক ঝুঁকি গ্রহণের ক্রয়মূল্য |
বীমাকারী প্রতিষ্ঠান বহুসংখ্যক বীমাগ্রহীতার কাছ থেকে প্রিমিয়াম গ্রহন করে সরকার অনুমোদিত বিভিন্ন অর্থ লগ্নিকারী প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগের মাধ্যমে মুনাফা অর্জন করে |
বিনিয়োগকৃত প্রিমিয়ামের অনুকুলে অর্জিত মুনাফা থেকে বীমাগ্রহীতাকে দাবী পরিশোধ করে |
অতএব, অনুমোদিত মুনাফা অর্জনের জন্য প্রিমিয়াম একত্রিত করে বিনিয়োগ করা হয় |
রি-ইন্স্যুরেন্স কী এবং এর সুবিধা কী? |
বীমাকৃত কোন বিষয়বস্তুর জন্য বীমাকারী তার আর্থিক ঝুঁকি কমানোর লক্ষ্যে অন্য বীমাকারী প্রতিষ্ঠানে ঝুঁকি হস্তান্তর করাকে এক কথায় রি-ইন্স্যুরেন্স/পুনঃবীমা বলা হয় |
ব্যাপক অর্থে কোন বীমাকারী যদি অত্যধিক আর্থিক ঝুঁকিসম্পন্ন কোন বিষয়বস্তুর বীমা গ্রহণ করে কিন্তু তাহার আর্থিক অবস্থা যদি সেই ঝুঁকি বহন করার জন্য যথোপযুক্ত না হয়, তখন সেই বীমাকারী তাহার ঝুঁকি হ্রাসের জন্য বীমাকৃত বিষয়বস্তু আবার পর্যন্ত আর্থিক সামথবান অন্য বীমা কোম্পানীর নিকট পুনঃবীমা করে কিছুটা ঝুঁকি হ্রাস করে |
ঝুঁকির পরিমাণ হ্রাস করার বা ঝুঁকি হস্তান্তর করার এ পদ্ধতিকে রি-ইন্সুরেন্স/পুনঃবীমা বলে |
রি-ইন্স্যুরেন্স সুবিধা ঃ |
নিজস্ব আর্থিক যোগ্যতা না থাকলেও ব্যবসায়ের উন্নতি ও সুনামের প্রতি লক্ষ্য রেখেই বীমাকারী রি-ইন্স্যুরেন্স/পুনঃবীমার মাধ্যমে বড় বড় ঝুঁকি গ্রহণ করতে পারে |
বীমা প্রতিষ্ঠানসমূহ একে অপরের ঝুঁকিতে অংশগ্রহণ করার মাধ্যমে পারষ্পরিক ঝুঁকি হ্্রাস করে |
মূল বীমাকারী প্রতিষ্ঠান তার নিজের আর্থিক যোগ্যতা সাপেক্ষে বীমাকৃত অংকের ঝুঁকি নিজে বহন করে বাকী অংশ রি-ইন্স্যুরেন্স/ পুনঃবীমাকারীর নিকট হস্তান্তর করে |
রি-ইন্স্যুরেন্স/পুনঃবীমার কারণে মূল বীমাকারী নিশ্চিন্তে যে কোন অংকের বীমা গ্রহণ করতে সক্ষম হয় |
রি-ইন্স্যুরেন্স/পুনঃবীমার মাধ্যমে বীমা ব্যবসায়ে প্রভূত উন্নয়ন সাধিত হয় |
ব্যবসায়ের দক্ষতা বৃদ্ধি পায়, দেশীয় ইন্স্যুরেন্স কোম্পানীর আন্ডাররাইটারগণ বিশ্বমানের অবলিখন সম্পর্কে ধারণালাভ করে ও সমাজে বিভিন্ন প্রকার অনিশ্চয়তা দূরীভূত হয় |
আপনার প্রতিষ্ঠানে কী কী পরিকল্প আছে? |
ফারইষ্ট লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানীর কল্যানমুখী পরিকল্পসমূহঃ |
মেয়াদী বীমা (মুনাফাসহ) ( ) |
পেনশন বীমা (মুনাফাবিহীন) - ( ) |
হজ্ব বীমা (মুনাফাসহ) - ( ) |
প্রত্যাশিত চার কিস্তি বীমা (মুনাফাসহ) ( ) |
দেনমোহর বীমা (মুনাফাসহ) ( ) ( ) |
প্রত্যাশিত তিন কিস্তি বীমা (মুনাফাসহ) ( ) |
এক কিস্তি বীমা (মুনাফাবিহীন) ( ) |
শিশু নিরাপত্তা বীমা (মুনাফাসহ) ( ) |
ফারইষ্ট ডিপিএস পেনশন বীমা (মুনাফাসহ) -( ) |
ইসলামী মানিব্যাক বীমা (মুনাফাবিহীন) ( ) |
এফডিপিএস মেয়াদী বীমা (মুনাফাসহ) ( ) |
যুগল মেয়াদী বীমা (মুনাফাসহ) ( ) |
মাসিক মেয়াদী বীমা (মুনাফাসহ) ( ) |
স্বল্পকালীন মেয়াদী বীমা (মুনাফাসহ) ( ) ( ) |
দুই কিস্তি মেয়াদী বীমা (মুনাফাসহ) ( ) |
শিশু শিক্ষা ও বিবাহ মেয়াদী বীমা (মুনাফাসহ) & ( ) |
পাঁচ কিস্তি বীমা (মুনাফাসহ) ( ) |
মেয়াদী বীমা (মুনাফাবিহীন) ( ) |
বীমাকারীকে তার প্রতিষ্ঠান হতে প্রদত্ত প্রত্যেক পলিসি/পরিকল্পের সুবিধাসমূহের স্পষ্ট বর্ণনা করতে হবে ? |
পরিচিতি : ফারইষ্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেড জনসাধারনের আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কতগুলো কল্যানমুখী বীমা পলিসি জনগনের খেদমতে উপস্থাপন করেছে, তারই একটি হচ্ছে মেয়াদী বীমা |
সুবিধাসমূহ : মেয়াদপূর্তিতে: বীমার মেয়াদপূর্তিতে কোম্পানীর ঘোষনা অনুযায়ী সর্বোচ্চ বোনাস এবং বীমা অংক প্রদান করা হবে |
মৃত্যুতে : পলিসি চালু থাকা অবস্থায় বীমাগ্রহীতা মেয়াদপূর্তির পূর্বে যে কোন সময় মৃত্যুবরণ (আল্লাহ্ না করুক) করলে তার মনোনীতককে পুরো বীমা অংকের সমপরিমান অর্থ লাভ/ক্ষতির ভিত্তিতে অর্জিত বোনাসসহ প্রদান করা হবে |
তামাদি পলিসি কী এবং কেন তামাদি হয়? |
তামাদি পলিসি কীঃ |
বীমাগ্রাহক কর্তৃক সাধারনত দেয় তারিখের মধ্যে প্রিমিয়াম জমা না করলে বীমাকারী প্রতিষ্ঠান কর্তৃক পলিসি তামাদিতে রুপান্তরিত হয় |
তবে দেয় তারিখের পর এক মাস সময়কে বীমাকারীর অনুগ্রহকাল হিসেবে বিবেচনা করা হয় |
উক্ত অনুগ্রহকাল অতিক্রম হওয়ার পরই বীমাকারীর পলিসির তামাদি গণ্না করে থাকে |
তামাদি কেন হয়ঃ |
বীমা গ্রাহকের অসচেতনতা |
ভুল তথ্য প্রদান |
এজেন্টের সাথে বীমাগ্রাহকের যোগাযোগগ্রহীতা |
সাম্থ্যের অধিক বীমা অঙ্কের পলিসি প্রদান |
কমিশন ছাড় দেয়া |
বিদেশ গমণ |
অসুস্থ প্রতিযোগিতা পলিসির তামাদি হলে গ্রাহকের আর্থিক নিশ্চয়তা রহিত হয়ে যায় |
পলিসি তামাদি হলে গ্রাহকের কী ক্ষতি হয় ? |
পলিসি তামাদির ফলে গ্রাহকের আর্থিক নিশ্চয়তা রহিত হয়ে যায় |
গ্রাহকের মৃত্যুতে বা মেয়াদপূর্তিতে বিপুল পরিমাণ অর্থ প্রাপ্তির আশা থেকে বঞ্চিত হবার কারণে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ঘটে |
পলিসি পরিশোধিত মূল্য ( ) অর্জন করার ফলে গ্রাহকের আর্থিক ক্ষতি হয় |
গ্রাহকের মৃত্যুতে কাঙ্খিত হারে অর্থ মনোনীতক(গণ) কে পরিশোধ করা সম্ভব হয় না, ফলে বীমা প্রতিষ্ঠানের প্রতি সংশ্লিষ্ট পরিবার, অন্যান্য গ্রাহক ও সমাজের আস্থাহীনতা বৃদ্ধি পায় |
বীমা কর্মী, গ্রাহক, মনোনীতক, প্রতিষ্ঠান এমনকি রাষ্ট্র আর্থিকভবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় |
এজেন্ট এর পারিবারিক ও সামাজিক মর্যাদা ক্ষুন্ন হয় |
গ্রাহকদের সাথে বীমাকর্মীদের সম্পর্কের অবনতি ঘটে |
ফলে সমগ্র কোম্পানীর এমনকি বীমা শিল্প সম্পর্কে সাধারণের মাঝে নেতিবাচক ধারণার সৃষ্টি হয় |
বীমা দাবী প্রাপ্তির আইনগত অধিকার কিভাবে প্রতিষ্ঠিত হয় ? |
বীমাচুক্তি মোতাবেক যখনি বীমাগ্রাহকের বীমাকৃত পলিসির মেয়াদ শেষ হয় এবং মেয়াদ শেষ হবার পূর্বেই অনাকাঙ্খিত মৃত্যু ঘটে তখনি বীমাগ্রাহকের/মনোনীতকের বীমা দাবী প্রাপ্তি আইনগত অধিকার প্রতিষ্ঠা লাভ করে |
বীমাকারী কিভাবে বীমা দাবী পরিশোধ করে? |
প্রতি মাসের ১-১০ তারিখের মধ্যে কম্পিউটার ও বীমা লেজার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে বীমাদাবীযোগ্য ফাইলসমূহের তালিকা প্রস্তুতকরণ পূর্বক সে অনুযায়ী নির্বাহী রসিদ প্রিন্ট করা হয় |
প্রিন্টকৃত নির্বাহী রসিদ বীমাগ্রহীতা বরাবর প্রেরণ করা হয় |
বীমাগ্রহীতা কর্তৃক দাখিল্কৃত নির্বাহী রসিদ এবং পলিসি ডকেট ফাইল ভালোভাবে পরিক্ষা-নিরীক্ষা করে কোম্পানীর নিকট বীমাগ্রহীতার কোন দায় থাকলে তা সমন্বয়পূর্বক বীমাকারী প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিট সার্ভিস সেন্টার বীমাদাবীর টাকা একাউন্ট পেয়ী (/. ) চেক অথবা মাধ্যমে পরিশোধের লক্ষ্যে লটশীট প্রস্তুত করে প্রধান কার্যালয়ে প্রেরণ করে থাকে |
মৃত্যুদাবী পরিশোধের প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে একজন বীমাগ্রাহকের মনোনীতক ব্যক্তি বা সংস্থা কর্তৃক প্রথমেই বীমাগ্রহীতার মৃত্যু সংবাদ বীমা প্রতিষ্টানকে অবহিত করতে হবে |
যথাযতভাবে পূরণকৃত দাবীপত্র সেট প্রধান কার্যালয়ে মৃত্যুদাবী সেকশনের হস্তগত হবার পর মৃত্যুর ধরন ও কারণ এবং মৃত্যু সংঘঠিত হবার স্থানের ভিত্তিতে কর্তৃপক্ষ পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহন করে থাকে |
বীমাকারী কখন গ্রাহককে বীমাদাবীর সাথে বোনাস প্রদান করে ? |
বোনাস হলো প্রত্যাশার চেয়ে বেশি কিছু পাওয়া |
বীমাকারী বীমাগ্রহীতাকে বীমাকৃত অর্থের চেয়ে অতিরিক্ত যে আর্থিক সুবিধা প্রদান করে তাকে বোনাস বলে |
বীমাগ্রহীতাগনের নিকট হতে প্রাপ্ত প্রিমিয়াম একত্রিত করে বীমা কোম্পানী সরকার কর্তৃক অনুমোদিত বিভিন্ন লাভজনক খাতে বিনিয়োগ করে |
বিনিয়োগ হতে প্রাপ্ত মুনাফার অংশ পলিসির মেয়াদান্তে মূল বীমা অঙ্কের সাথে অর্জিত বোনাস যোগ করে গ্রাহকের দাবি পরিশোধ করা হয় |
সার্ভাইভাল বেনিফিট এবং পেইড আপ পলিসি কী? |
সার্ভাইভাল বেনিফিট : |
পলিসির মেয়াদের মধ্যে বীমাবৃত ব্যক্তি জীবিত অবস্থায় পরিকল্প ভেদে ২/৩/৪ বছর পর পর যে আংশিক ও অন্তর্বর্তী আর্থিক সুবিধা (কিস্তি) পায় তাই সার্ভাইভাল বেনিফিট |
পেইড আপ পলিসি কী: |
নগদ সমর্পণ মূল্য অর্জনের পর মূল বীমা অংকের অপেক্ষাকৃত কম টাকায় রুপান্তরকে পেইড আপ পলিসি বলে |
পেইড আপ পলিসি হল পলিসির ভবিষ্যত মূল্য |
উল্লেখ্য কোনো পলিসি নূন্যতম ২(দুই) বছর চালু থাকলে তা পেইড আপ ভেল্যু অর্জন করে |