content
stringlengths
0
129k
গগন হরকরা লিখেছিলেন "আমি কোথায় পাবো তারে?" কাকে - মনের মানুষকে
হয়তো মানুষ নয়, হয়তো অমূল্য রতন যা জীবনকে উজ্জ্বল আলোয় ভরিয়ে দেয়
হয়তো বস্তুগত কিছু নয়, হয়তো এক অধরা সৌন্দর্য যা আমাদের সত্তার অন্তস্থলে লুকানো যা বস্তুজগতে অদৃশ্য থাকে - "সে চমকে বেড়ায় দৃষ্টি এড়ায় যায় না তাকে বাঁধা
" এই সংখ্যার গল্পপাঠে বিমল করের 'সুধাময়' গল্পের এক চরিত্র বলছেন, "ভক্তিতে দরকার নেই, ও ভালোকে ভালবাসতে শিখুক
" কিন্তু সেই ভালোটি কী - যে ভালো নিয়ে আমাদের কোনো দ্বিধা থাকবে না, যাকে মুহূর্তেই আমরা প্রাণে ধারণ করব? বার্টরান্ড রাসেলের কথাই ধরুণ, এমন বুদ্ধিমান মানুষ, কিন্তু ভালো মন্দের সংজ্ঞা বিচার করতে গিয়ে তিনিও দ্বন্দ্বে ভুগতেন
কী ধরণের পৃথিবী দেখতে চান সেটি সম্পর্কে বলতে গিয়ে লিখছেন, "আমি এমন একটি পৃথিবী দেখতে চাই যেখানে অনুভূতিপ্রবণতা খুব প্রবল, কিন্তু তা ধ্বংসকারী নয় ... সেই পৃথিবীতে থাকবে ভালবাসা ও বন্ধুত্ব এবং আর্ট ও জ্ঞানের অন্বেষা
কিন্তু যাকে বা যাতে আমি ভক্তি করি তাই কি ভাল নয়? এই নিয়ে যে দ্বন্দ্ব তা চিরন্তন
কারণ ভক্তির রূপ যখন যুক্তি, সাধারণ বোধ এবং "আর্ট এবং জ্ঞানের অন্বেষা" দিয়ে পরিচালিত হয় না তা 'ধ্বংসকারী' হয়ে উঠতে পারে
সনজীদা খাতুন রবীন্দ্রনাথের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এক নিবন্ধে লিখছেন, "কালান্তর গ্রন্থে রবীন্দ্রনাথ ধর্ম ও ধর্মতন্ত্রের বৈপরীত্য নির্দেশ করেছেন বিস্তৃতভাষ্যে
তার সামান্য অংশ উদ্ধার করি - ধর্ম বলে মানুষকে যদি শ্রদ্ধা না কর তবে অপমানিত ও অপমানকারীর কারুরই কল্যাণ হয় না
কিন্তু ধর্মতন্ত্র বলে, মানুষকে নির্দয়ভাবে অশ্রদ্ধা করিবার বিস্তারিত নিয়মাবলী যদি নিখুঁত করিয়া না মান তবে ধর্মভ্রষ্ট হইবে
" কিন্তু এটি যে শুধু ধর্মতন্ত্রই করে তা নয়
গল্পপাঠের এই সংখ্যায় চীনা নোবেল বিজয়ী মো ইয়ানের 'উপশম' গল্পে গ্রামের জমিদার শ্রেণীকে বিনা-বিচারে রাষ্ট্রীয় সশস্ত্র বিপ্লবী বাহিনির গুলি করে হত্যা করবার একটি ঘটনা বর্ণীত হয়েছে
যে তন্ত্র মনে করে পৃথিবীর মানুষের মুক্তির পথ তার মধ্যে নিহিত আছে এবং সেখানে কোনো বিতর্ক বিশ্লেষণের অবকাশ নেই সেটি কোনো মানবিক যুক্তিবাদী সমাজের দর্শন হতে পারে না
এই দ্বন্দ্বটি চিন্তাশীল সাহিত্যিকের মনে সর্বসময় বর্তমান
এবার দুর্গা পূজার সময় বাংলাদেশে হিন্দু সমাজের ওপর আক্রমণ বিতর্ক বিশ্লেষণ ব্যতিরেকে, আত্মসমীক্ষণের সার্বিক অনুপস্থিতির একটি নিদর্শন
ঘটনাটি সকল বাঙালী চিন্তাশীল মানুষের জন্য উদ্বেগ ও ক্ষোভের বিষয় হওয়া উচিত
প্রশ্ন হল ১৯৪৭ সনে যে নীতিগত আদর্শে পূর্ব পাকিস্তান সৃষ্টি হয়েছিল, বহু রক্তের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশের উদয়ন কি পুরাতন আদর্শকে পরিত্যাগ করতে পেরেছে? ইংরেজীতে একটি কথা আছে - , একে বাংলায় পূর্বগানুকৃতি বলা হয়, সহজ ভাষায় বললে এটি বর্তমান প্রজন্মে পূর্বপুরুষের বৈশিষ্ট্য ও চেতনার পুনরুথ্বান
পাকিস্তান সৃষ্টির আন্দোলনের পেছনে যে মূল দর্শন - একটি ধর্মীয় গোষ্ঠী জাতিসত্তার রূপ নিয়ে আবির্ভূত হতে পারে - সেটি পচাত্তর বছর পরে উথ্বিত হয়েছে পরম তীব্রতায়
২০০৯ সনে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল কিছু স্থানীয় যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করতে সক্ষম হয়, এটি বর্তমান সরকারের সাহসী পদক্ষেপ নিশ্চয়
কিন্তু সেই সময়ও এই সব অপরাধীদের সমর্থনে বাংলাদেশের যে মানুষেরা বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে মতামত দিয়েছে তাদের সংখ্যা কম নয়
প্রশ্ন হল, ইতিহাসের অন্যতম জঘন্য হত্যা ও নিপীড়ণের হোতারা এরকম সহানুভূতি কীভাবে পেতে পারে? যুদ্ধপরাধ বিচার ট্রাইবুনাল গোলাম আযমকে ৯০ বছর কারাদণ্ড দেয়, গোলাম আযমের মৃত্যুর পর তার জানাজায় লক্ষ লক্ষ মানুষ অংশগ্রহণ করে
এই মানুষেরা কি জানত না গোলাম আযম পাকিস্তানি বাহিনিকে লক্ষ লক্ষ মানুষের হত্যা, ধর্ষন ও নিপীড়ণে সাহায্য করেছে? নাকি পাকিস্তানের অখণ্ডতা রক্ষার জন্য, ইসলামকে রক্ষা করার জন্য রাজাকার, আল বদরেরা যা করেছ - তা যতই নিকৃষ্ট হোক - সেটি তারা তাদের নীতি থেকেই করেছে? নিশ্চয়, সব হত্যাকাণ্ড তো এক ধরণের নীতি থেকেই হয়, হিটলারের ইহুদী, জিপসি ও পূর্ব ইউরোপীয় জনগোষ্ঠীকে বিলোপ করার অভিলাষ জার্মান জাতির শুদ্ধতা বজায় রাখার নিমিত্তেই ছিল
সেটাও তো নীতি
১৯৭৫ থেকে ১৯৭৯ পর্যন্ত ক্যাম্বোডিয়ার পল পটের খেমার রুজ সরকার প্রায় ২০ লক্ষ মানুষকে হত্যা করে
কী ছিল তাদের নীতি? সমস্ত ধরণের সামাজিক শ্রেণী উচ্ছেদ করতে হবে, এই জন্য তারা সমস্ত বুদ্ধিজীবীদের - চিকিৎসক, প্রকৌশলী, শিক্ষকদের শ্রম শিবিরে প্রেরণ করে যেখানে হয় তাদের সরাসরি হত্যা করা হয়, নয় অনাহারে ও টর্চারে তারা মারা যায়
অনেকেই জানেন না এই নারকীয় অবস্থায় ক্যাম্বোডিয়ায় অবস্থানরত অপেক্ষাকৃত স্বচ্ছল চিনা জনগোষ্ঠি বিশেষভাবে লক্ষ্যবস্তু ছিল, প্রায় ৩ লক্ষ চিনা ওই ক'বছরে নিহত হয়
এই ক্ষেত্রেও সংখ্যালঘু জাতিকে নিশ্চিহ্ন করা সামগ্রিক শ্রেণী সংগ্রামের নীতির অন্তর্গত ছিল
দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের আগে ও পরে স্তালিন লক্ষ লক্ষ কোরিয়ান, পোলিশ, এস্তোনিয়ান, লাতভিয়ান, লিথুয়ানিয়ান, তাতার, চেচেন এবং আরো বিভিন্ন জাতির মানুষকে তাদের বাসস্থান থেকে উপড়ে সাইবেরিয়া ও মধ্য এশিয়ায় প্রেরণ করে, রাষ্ট্রীয় নীতির অন্তর্গত না হলে পুরো জাতিকে নির্বাসনে পাঠানো যায় না
পূর্ব পাকিস্তানে ১৯৭১-এর গণহত্যার ব্লুপ্রিন্টে সেরকমই একটি নীতি ছিল
গত ৫০ বছরে দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর পাঠ্যপুস্তকে জাতি বা ধর্মীয় সহাবস্থানের ব্যাপারে কোনো শিক্ষাই দেয়া হয়নি, বরং যেসব রচনা সংখ্যালঘুদের সংস্কৃতি সম্বন্ধে ছিল সেগুলোর অনেকাংশই সরানো হচ্ছে
শুধু তাই নয় মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন কাহিনি, মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্যাগ, নির্মম গণহত্যা, গণধর্ষণ, ন্যায় বিচারের আকাঙ্খা সেখানে স্থান পায় নি
একটি উদার মূল্যবোধের রাষ্ট্র থেকে সেটি পরিণত হচ্ছে পশ্চাৎ-অভিমুখী, ধর্মীয় রক্ষণশীল রাষ্ট্রে যেখানে একটি ভাষা ও একটি ধর্ম নিরঙ্কুশ আধিপত্য বজায় রাখছে
যে কারণে টিক্কা খান ও রাও ফরমান আলি সহযোগী আল বদর বাহিনি গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছিল, সেই কারণেই গোলাম আযমের জানাজায় লক্ষ লক্ষ মানুষের জমায়েত হতে পারছে
পূর্বগানুকৃতি বা -এর এটি একটি চমৎকার উদাহরণ
বাংলাদেশের গ্রামগুলিতে এখন পরিত্যক্ত মন্দির দেখা যায়, সেই শেষ চিহ্নও একদিন কালের গর্ভে বিলীন হবে
চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রামের আদিবাসী জাতীয় গোষ্ঠীসমূহের অনন্য সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় কৃষ্টিকে সচেতনভাবে ধবংস করে দেয়া হচ্ছে, তারা দ্রুতই তাদের বাসভূমিতে সংখ্যালঘুতে পরিণত হয়েছে
এ বছর সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী আবদুলরাজ্জাক গুরনাহ লিখছেন, "আমি জানতাম, এমন কিছু পাঠকের সামনে নিজেকে উপস্থাপন করতে হবে যারা যতটা সম্ভব নিজেদের আদর্শ, সংস্কৃতি বা জাত্যাভিমান থেকে মুক্ত, বৈষম্যহীন
" (অনুবাদ সুদেষ্ণা দাসগুপ্ত) গুরনাহ তার দেশান্তরের কার্যকারণ হিসেবে সাম্রাজ্যবাদকে অংশত দায়ী করছেন এবং মনে হয় যে পাঠকদের কথা বলছেন তারা পশ্চিমা বিশ্বেরই অধিবাসী, অর্থাৎ তিনি লিখছেন তাদের জন্য এবং তাদের আহ্বান করছেন সব কিছুর উর্ধে উঠে তার রচনাকে বিচার করতে
আমাদের এই বিলাসিতাটুকু আছে কিনা জানি না কারণ আমরা যা লিখি তা পশ্চিমের পাঠকের কথা ভেবে লিখি না, বাংলা ভাষাভাষীদের কথা ভেবেই লিখি
তবু বলব গুরনাহর কথা তাদের জন্যও প্রযোজ্য
আমাদের ক্ষুদ্র জীবনে বৈচিত্র‍্য হারানো এক ভীষণ ক্ষতি, বৈচিত্র্য হল আসিতোপল মণি, তাকে ধারণ করে জীবনকে পূর্ণ করা সম্ভব
রবীন্দ্রনাথের ক্ষ্যাপা সমুদ্রতীরে পরশপাথর খুঁজে হয়তো পেয়েছিল -
কেবল অভ্যাসমত নুড়ি কুড়াইত কত,
ঠন্‌ ক'রে ঠেকাইত শিকলের 'পর,
চেয়ে দেখিত না, নুড়ি দূরে ফেলে দিত ছুঁড়ি,
কখন ফেলেছে ছুঁড়ে পরশ-পাথর
১৯৭১ সনে আমরা যে পরশপাথর খুঁজে পেয়েছিলাম সেটিকে আমরা সেই কবে ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছি
সেটিকে আবার উদ্ধার করার শক্তি কি আমাদের আছে?
সন্ন্যাসী আবার ধীরে পূর্বপথে যায় ফিরে
খুঁজিতে নূতন ক'রে হারানো রতন
সে শকতি নাহি আর নুয়ে পড়ে দেহভার
অন্তর লুটায় ছিন্ন তরুর মতন
গল্পপাঠের এই সংখ্যায় যেমন বিমল কর, মো ইয়ান ও ২০২১ সালে নোবেল বিজয়ী কথাসাহিত্যিক আবদুলরাজ্জাক গুরনাহর লেখা ও তাদের রচনার আলোচনা যাচ্ছে তেমনই রয়েছে নতুন পুরাতন লেখকের গল্পের ডালি, রয়েছে কুলদা রায় ও শাহাব আহমেদের ধারাবাহিক উপন্যাস
পাঠক ও লেখকের মিথস্ক্রিয়ার আঙ্গিনায় গল্পপাঠের এই সংখ্যাটিও গুরত্বপূর্ণ স্থান পাবে বলে আমাদের বিশ্বাস
--দীপেন ভট্টাচার্য
অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্তের গল্প : চিতা
প্রবন্ধ : বর্ণ ক্যানভাসের দ্যুতি অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত
কথাসাহিত্যিক বিমল করের জন্ম শতবর্ষ উপলক্ষে বিশেষ আয়োজন--
বিমল করের দীর্ঘ সাক্ষাৎকার
প্রণব মুখোপাধ্যায়
পাঁচটি গল্প
২. আঙুরলতা
৫. বরফ সাহেবের মেয়ে
কথাসাহিত্যিক অমর মিত্র লিখেছেন দুজন কথাসাহিত্যিকের কথা
তাঁরা একজন তাঁর সময়াময়িক, অন্যতম অনুজ
দুজনেই অকালে চলে গেছেন
বকুলগন্ধের মতো এই তর্পণ
এর মধ্যে রবিশঙ্কর বল লিখতেন অনুভবের প্রবাহমানতার মতো কথকতা
তার মধ্যে যতটা জীবন তার চেয়ে মৃত্যুবোধ ভীড় করে আসে
আবার এই মৃত্যুর মধ্যে দিয়েই যেন জন্মান্তরের ঘটনা বলে যাচ্ছেন অনন্যতর শব্দে--বাক্যে
যেন কোনো চন্দ্রাবতী, তার মা, তার মৃত সখি, তারও উত্তর প্রজন্ম, জিপসী, ধর্মান্তরিত মানুষজন, এর মধ্যে আবছা হয়ে আসে জীবনানন্দের মৃত্যুর ক্ষণটি
স্বল্পায়নের মধ্যে বহুস্বর যেন এই গল্পটিকে আয়নার মতো আমাদের চোখের সামনে ধরে
এই আখ্যানে তাই কোনো টাইমলাইন থাকে থাকে
বন্ধুর জন্য নীরবতা : অমর মিত্র
স্বপন সেনের গল্প : ঝুপড়ির বাসিন্দা
রবিশঙ্কর বল এর গল্প : দেবতাদের দিনরাত্রি
অমর মিত্র'র গল্প : দুই নারী
জয়ন্ত দে : বিবাহবাষির্কী
মধুময় পাল'এর গল্প: শিরদাঁড়ার ফেরিওলা
নিরঞ্জন মণ্ডলের গল্প : ইয়াস ও বাদাবনের আখ্যান
শচীন দাশের গল্প: ফুটকি
দীপেন ভট্টাচার্যের গল্প : আমেনহোতেপের সময়
বিশ্বদীপ চক্রবর্তী'র গল্প : দংশন
বিপ্লব বিশ্বাস'এর গল্প: জিদ
আনিসুজ জামানের গল্প : ভালোবাসা কারে কয়
ভালোবাসা কারে কয় গল্পটি নিয়ে আলোচনা : নিঝুম শাহ
হুমায়ূ্ন কবীরের গল্প : বলরামের শেষদিন
তৃষ্ণা বসাকের গল্প : দূরে আকাশ শামিয়ানা
স্মৃতি ভদ্র'র গল্প : কালকূট
হামিরউদ্দিন মিদ্যা'র গল্প : ফাঁস
আনোয়ার শাহাদাতের গল্প : স্মৃতি ধূসরতার প্রান্তসীমায়
শাহীন আখতারের গল্প : সবুজ পাসপোর্ট
ইমতিয়ার শামীমের গল্প : ৩০১৯
শিমুল মাহমুদ : আমার মেয়ের নাম ছিল প্রজ্ঞা
নোবেল বিজয়ী কথাসাহিত্যিক আব্দুলরাজাক গুরনাহকে নিয়ে বিশেষ আয়োজন:
২০২১ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন আফ্রিকান বংশোদ্ভূত কথাসাহিত্যিক আব্দুলরাজাক গুরনাহ
তাঁর জন্ম ১৯৪৮ সালে, তাঞ্জানিয়ায়
ষাটের দশকে দেশত্যাগ করে তিনি সপরিবারে ইংল্যান্ডে শরণার্থী হিসেবে চলে যান
সেখানেই লেখাপড়া করেছেন