_id
stringlengths
17
23
url
stringlengths
31
795
title
stringlengths
1
93
text
stringlengths
100
11.9k
20231101.bn_772740_1
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%86%E0%A6%87%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A7%81%E0%A6%AC%20%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A6%B0%E0%A7%80
আইয়ুব কাদরী
চট্টগ্রাম, বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি, ব্রিটিশ ভারতের মধ্যে জন্মগ্রহণ করা, কাদরী ১৯৬৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতক (সম্মান) এবং স্নাতকোত্তর শেষ করেন। <span data-segmentid="33" class="cx-segment">তিনি ১৯৮৩ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কানেকটিকাট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাবলিক অ্যাফেয়ার্সে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।
20231101.bn_772740_2
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%86%E0%A6%87%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A7%81%E0%A6%AC%20%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A6%B0%E0%A7%80
আইয়ুব কাদরী
কাদরী ১৯৬৯ সালে তৎকালীন পাকিস্তান সিভিল সার্ভিসে (সিএসপি) যোগদান করেন এবং ৩৬ বছর ধরে পূর্ব পাকিস্তানের ও বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেছিলেন। সরকারের সচিব হিসাবে তার প্রধান কর্মযজ্ঞের মধ্যে রয়েছে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, খাদ্য ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়, কৃষি মন্ত্রণালয়, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি), জল সম্পদ মন্ত্রণালয় এবং শিল্প মন্ত্রণালয়। কাদেরি বাংলাদেশ রাসায়নিক শিল্প কর্পোরেশনের (বিসিআইসি) চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের (বিআরডিবি) মহাপরিচালক হিসাবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ২০০৫ সালে সরকারি চাকুরি থেকে অবসর গ্রহণ করেন।
20231101.bn_772740_3
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%86%E0%A6%87%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A7%81%E0%A6%AC%20%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A6%B0%E0%A7%80
আইয়ুব কাদরী
ফখরুদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে বাংলাদেশ সরকারের অন্তর্বর্তীকালীন কাদরিকে ১৬ জানুয়ারি ২০০৭ এ উপদেষ্টা নিযুক্ত করা হয়েছিল। তাকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। ২১ শে আগস্ট ২০০৭ -এ জরুরি অবস্থা প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষুব্ধ বিক্ষোভকারীদের আক্রমণে তার বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ২৬ ডিসেম্বর ২০০৭ এ দু'টি দুর্লভ প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনগুলির চুরির তদন্তের মধ্যে কাদরি তার পদ থেকে পদত্যাগ করেন। ঢাকা বিমানবন্দরে প্যারিসগামী বিমানে চড়তে গিয়ে গিমে জাদুঘরে প্রেরতিব্য প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনগেুলোর কয়েকটি হারিয়ে গিয়েছিল। এগুলি ফ্রান্সের গিমে জাদুঘরে একটি প্রদর্শনীর জন্য বাংলাদেশ থেকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।
20231101.bn_772741_0
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%A6%20%E0%A6%A8%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%81%E0%A6%B2%20%E0%A6%B9%E0%A7%81%E0%A6%A6%E0%A6%BE
মুহাম্মদ নুরুল হুদা
মুহাম্মদ নুরুল হুদা একজন বাংলাদেশী পুলিশ অফিসার যিনি ২০০০-২০০১ সালে বাংলাদেশ পুলিশের ১৭ তম পুলিশ পরিদর্শক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তিনি ডেইলি স্টারের কলামিস্ট।
20231101.bn_772742_0
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9B%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%81%E0%A6%93%20%E0%A6%9C%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%B0%20%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A1%E0%A6%BC%E0%A6%BF
ছয়গাঁও জমিদার বাড়ি
ছয়গাঁও জমিদার বাড়ি বাংলাদেশ এর শরীয়তপুর জেলার ভেদরগঞ্জ উপজেলার ছয়গাঁও গ্রামে অবস্থিত এক ঐতিহাসিক জমিদার বাড়ি।
20231101.bn_772742_1
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9B%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%81%E0%A6%93%20%E0%A6%9C%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%B0%20%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A1%E0%A6%BC%E0%A6%BF
ছয়গাঁও জমিদার বাড়ি
কবে নাগাদ এবং কার দ্বারা জমিদার বংশ বা জমিদার বাড়িটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তার কোনো সঠিক তথ্য জানা যায়নি। তবে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন ও ভারতের স্বাধীনতাকামী কয়েকজন প্রখ্যাত নেতার আবাসস্থল ছিল এই জমিদার বাড়িটি। অর্থাৎ তারা এই জমিদার বংশধর ছিলেন। যার ফলস্বরূপ ১৯৩০ - ১৯৩৪ সাল পর্যন্ত এখানে ভারত ব্রিটিশ সরকারের সেনাঘাটি ছিল।
20231101.bn_772745_0
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%9F%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%BE%20%E0%A6%9C%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%B0%20%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A1%E0%A6%BC%E0%A6%BF
হাটুরিয়া জমিদার বাড়ি
হাটুরিয়া জমিদার বাড়ি বাংলাদেশ এর শরীয়তপুর জেলার গোসাইরহাট উপজেলার নলমুড়ি ইউনিয়নের চরভূয়াই গ্রামে অবস্থিত এক ঐতিহাসিক জমিদার বাড়ি।
20231101.bn_772745_1
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%9F%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%BE%20%E0%A6%9C%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%B0%20%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A1%E0%A6%BC%E0%A6%BF
হাটুরিয়া জমিদার বাড়ি
খেয়া ঘাটের মাঝি কবিতায় জমিদার গোলাম আলী চৌধুরির দোর্দণ্ড প্রতাপের উদাহরণ পাওয়া যায়। উনি দার্জিলিং থেকে বিশেষ উপায়ে হিমজাত বরফ আনাতেন খাবার জন্য, এবং কোলকাতার বিখ্যাত সি আর দাশ এর লন্ড্রী থেকে উনার কাপড় ধোয়ানো হোত।
20231101.bn_772749_0
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%AF%20%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A6%93%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A7%87%20%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%A8%20%28%E0%A6%9A%E0%A6%B2%E0%A6%9A%E0%A7%8D%E0%A6%9A%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%29
দ্য রেলওয়ে ম্যান (চলচ্চিত্র)
দ্য রেলওয়ে ম্যান জোনাথন টেপলিটস্কি পরিচালিত একটি ব্রিটিশ-অস্ট্রেলিয়ান যুদ্ধ ভিত্তিক সিনেমা যা ২০১৩ সালে মুক্তি পায়। এটি নির্মিত হয় ১৯৯৯ সালে প্রকাশিত এরিক লোম্যাক্সের লেখা আত্মজীবনী অবলম্বনে। সিনেমাটিতে অভিনয় করেছেন কলিন ফির্থ, নিকোল কিডম্যান, জেরেমি ইরভিন এবং স্টেলান স্কারসগার্ড। ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৩ সালে টরন্টো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে এই সিনেমাটি প্রদর্শিত হয়।
20231101.bn_772749_1
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%AF%20%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A6%93%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A7%87%20%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%A8%20%28%E0%A6%9A%E0%A6%B2%E0%A6%9A%E0%A7%8D%E0%A6%9A%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%29
দ্য রেলওয়ে ম্যান (চলচ্চিত্র)
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়, এরিক লোম্যাক্স নামে একজন ব্রিটিশ অফিসার সিঙ্গাপুরে জাপানিদের হাতে বন্দী হন। তাকে একটি জাপানি যুদ্ধবন্দি শিবিরে প্রেরণ করা হয়, সেখানে তাকে মালয় উপদ্বীপের উত্তরে থাই-বার্মা রেলপথে কাজ করতে বাধ্য করা হয়। ক্যাম্পে লোমাক্স গোপনে রেডিও রিসিভার তৈরি করার অপরাধে কেম্পিটাই (সামরিক গোপন পুলিশ) কর্তৃক মারাত্মকভাবে নির্যাতনের শিকার হন। তাকে গুপ্তচর হিসাবে সন্দেহ করা হয় এবং মনে করা হয় যে তিনি রিসিভারটির মাধ্যমে গোয়েন্দাগিরি করে বাইরে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাচার করছেন। কিন্তু তার রেডিও রিসিভারটি তৈরি করার একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল নিজের এবং তার সাথে অবস্থানরত অন্য বন্দী-দাসদের মনোবল চাঙ্গা রাখতে। পরবর্তিতে ব্রিটিশ সেনাবাহিনী লোম্যাক্স এবং অন্য যুদ্ধবন্দীদের সেখান থেকে উদ্ধার করে।
20231101.bn_772756_0
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%B0%20%E0%A6%9C%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%B0%20%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A1%E0%A6%BC%E0%A6%BF
কার্তিকপুর জমিদার বাড়ি
কার্তিকপুর জমিদার বাড়ি বাংলাদেশ এর শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া উপজেলার কার্তিকপুর গ্রামে অবস্থিত এক ঐতিহাসিক জমিদার বাড়ি। যা স্থানীয়দের কাছে চৌধুরী বাড়ি নামে পরিচিত।
20231101.bn_772756_1
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%B0%20%E0%A6%9C%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%B0%20%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A1%E0%A6%BC%E0%A6%BF
কার্তিকপুর জমিদার বাড়ি
কার্তিকপুরের জমিদারী আগে বিক্রমপুরের জমিদারীর আওতাভুক্ত ছিল। বিক্রমপুরের জমিদারীর পাঁচজন সেনাপতি ছিল। যাদের মাঝে পরবর্তীতে বিক্রমপুরের জমিদারীকে তিন ভাগ করে দিয়ে দেন বিক্রমপুরের জমিদার। যার ফলস্বরূপ কার্তিকপুরের জমিদারী পান কমলশরন ও শেখ কালু। পরবর্তীতে শেখ কালুর মেয়ের সাথে মোঘল সাম্রাজ্যের এক সেনাপতি ফতেহ মুহাম্মদের বিবাহ হয়। মূলত ঐখান থেকে উক্ত জমিদার বংশের সূচনা হয়। এই জমিদার বংশধরদের সাথে আত্মীয়তার বন্ধনে আবদ্ধ হন হযরত শাহ বন্দে আলী (র.), ঢাকার নবাব খাজা আহসান উল্লাহ, খাজা সলিমুল্লাহ, করটিয়ার জমিদার ওয়াজেদ আলী খান পন্নী, বগুড়ার নবাব আলতাব আলী ও ফরায়েজী আন্দোলনের নেতা হাজী শরীয়তুল্লাহ'র বংশধরদের সাথে।
20231101.bn_772756_2
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%B0%20%E0%A6%9C%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%B0%20%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A1%E0%A6%BC%E0%A6%BF
কার্তিকপুর জমিদার বাড়ি
জমিদার বাড়িটিতে সুন্দর ও কারুকার্যময় একটি দ্বিতল বিশিষ্ট্য ভবন রয়েছে। এছাড়াও সাঁন বাঁধানো একটি পুকুর রয়েছে।
20231101.bn_772756_3
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%B0%20%E0%A6%9C%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%B0%20%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A1%E0%A6%BC%E0%A6%BF
কার্তিকপুর জমিদার বাড়ি
জমিদার বংশধররা এখনো এখানে বসবাস করতেছেন। এছাড়াও জমিদার বংশের অনেকেই এখন ঢাকা বা অন্যান্য জায়গা বসবাস করতেছেন। বাড়িটিতে বসবাসরত অবস্থায় থাকলেও ভবনের দেয়ালের অবস্থা বেশ জীর্ণশীর্ণ।
20231101.bn_772772_0
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%86%E0%A6%87%20%E0%A6%A8%E0%A7%8B%20%E0%A6%B9%E0%A7%8B%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%BE%E0%A6%87%20%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%20%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%87%E0%A6%B8%E0%A6%A1%20%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A1%20%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%82%E0%A6%B8
আই নো হোয়াই দ্যা কেইসড বার্ড সিংস
আই নো হোয়াই দ্যা কেইসড বার্ড সিংস ১৯৬৯ সালে প্রকাশিত আমেরিকান লেখক ও কবি মায়া অ্যাঞ্জেলোর লেখা প্রথম আত্মজীবনী, যেটিতে তিনি তার জীবনের শুরুর দিকের ঘটনাগুলো বর্ণনা করেছেন। তার সাত খণ্ডে লেখা আত্মজীবনীর এই প্রথমটিতে বয়সের শুরুর দিকের ঘটনাগুলো তুলে ধরে তিনি বর্ণনা করেছেন কীভাবে চারিত্রিক দৃঢ়টা এবং সাহিত্যের প্রতি ভালোবাসা তাকে বর্ণবাদ ও মানসিক আঘাত জনিত সমস্যা কাটিয়ে উঠতে সহায়তা করেছে। এই বইটি শুরু হয়েছে যখন তিন বছর বয়সী মায়াকে তার বড় ভাইয়ের সাথে আরাকানসাসে স্ট্যাম্পসে তার দাদীর কাছে বসবাসের জন্য পাঠিয়ে দেয়া হয় এবং শেষ হয় যখন মাত্র ১৬ বছর বয়সে মায়া মা হন।
20231101.bn_772772_1
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%86%E0%A6%87%20%E0%A6%A8%E0%A7%8B%20%E0%A6%B9%E0%A7%8B%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%BE%E0%A6%87%20%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%20%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%87%E0%A6%B8%E0%A6%A1%20%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A1%20%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%82%E0%A6%B8
আই নো হোয়াই দ্যা কেইসড বার্ড সিংস
অ্যাঞ্জেলো তার আত্মজীবনী ব্যবহার করে পরিচয়, ধর্ষণ, বর্ণবাদ এবং সাক্ষরতার মতো বিষয়গুলি অন্বেষণ করতে। পুরুষশাসিত সমাজে নারীর জীবন নিয়েও তিনি নতুনভাবে লিখেছেন। মায়া, অ্যাঞ্জেলুর ছোট সংস্করণ এবং বইয়ের কেন্দ্রীয় চরিত্রকে বলা হয়েছে 'আমেরিকাতে বেড়ে ওঠা প্রতিটি কালো মেয়ের জন্য একটি প্রতীকী চরিত্র'
20231101.bn_772780_0
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%8F%20%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8B%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%A8%20%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%AB%20%28%E0%A6%AC%E0%A6%87%29
এ স্টোলেন লাইফ (বই)
এ স্টোলেন লাইফ জেইসি লি ডুগার্ট কর্তৃক রচিত স্মৃতিকথা, যিনি মাত্র ১১ বছর বয়সে অপহরণের শিকার হন এবং এরপর তাকে ক্যালিফোর্নিয়ার কনট্রা কস্টা কাউন্টিতে ১৮ বছর ধরে বন্দি করে রাখা হয়। বইটি প্রকাশের পূর্বে এটি অ্যামাজনের সবচেয়ে বেশি বিক্রিত হওয়া বইয়ের তালিকায় শীর্ষে অবস্থান করে এবং প্রকাশের পর দ্যা নিউইয়র্ক টাইমসের বেস্ট সেলার লিস্টে ৬ সপ্তাহ ধরে সবচেয়ে বেশি বিক্রিত হওয়া বই হিসেবে তালিকার শীর্ষে অবস্থান করে।
20231101.bn_772780_1
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%8F%20%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8B%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%A8%20%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%AB%20%28%E0%A6%AC%E0%A6%87%29
এ স্টোলেন লাইফ (বই)
১৯৯১ সালে জেইসি লি ডুগার্ট ক্যালিফোর্নিয়ার সাউথ লেক টাহো’র কাছে অপহৃত হন, সেই সময় তিনি বাড়ি থেকে বের হয়ে স্কুল বাস স্টপে হাঁটছিলেন। অবিচ্ছিন্নভাবে অনেক তদন্ত সত্ত্বেও অপহরণের পরে আঠারোো বছর পর্যন্ত ডুগার্টের কোন সন্ধান পাওয়া যায় নি। এ স্টোলেন লাইফ ডুগার্টের সেই আঠারোো বছরের কঠিন ও বেদনাদায়ক সময়ের গল্প, যা তিনি মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞ রেবেকা বেইলির সাথে লিখেছিলেন; তার মানসিক চিকিৎসার অংশ হিসেবে।
20231101.bn_772780_2
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%8F%20%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8B%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%A8%20%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%AB%20%28%E0%A6%AC%E0%A6%87%29
এ স্টোলেন লাইফ (বই)
প্রকাশনা সংস্থা সাইমন এন্ড শুস্টার প্রাথমিকভাবে বইটির ২০০,০০০ কপি মুদ্রণ করে এবং পরে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় আরো ১৫,০০০ কপি মুদ্রণ করে। আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশের এক দিন পূর্বেই বইটি অ্যামাজনের সবচেয়ে বেশি বিক্রীত বইয়ের তালিকায় শীর্ষ স্থান লাভ করে।
20231101.bn_772784_0
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9C%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%B0%20%E0%A6%AC%E0%A6%A1%E0%A6%BC%20%E0%A6%AE%E0%A6%B8%E0%A6%9C%E0%A6%BF%E0%A6%A6
জেনির বড় মসজিদ
জেনির বড় মসজিদ (, ) একটি সুবিশাল ঐতিহ্যবাহী মাটির স্থাপনা যাকে সমসাময়িক স্থপতিরা সুদানো-সাহেলীয় স্থাপত্যের একটি অনুপম নিদর্শন হিসেবে বিবেচনা করছেন। আফ্রিকান দেশ মালির জেনি শহরে এর অবস্থান। বানি নদীর তীরবর্তী বন্যাপ্রবন সমতল ভূমিতে এটি দাড়িয়ে আছে। ১৩শ শতাব্দিতে এই যায়গায় প্রথম মসজিদ তৈরী হলেও বর্তমানে যে কাঠামো দেখা যায় তা আসলে ১৯০৭ সাল থেকে চলমান। জেনির শহরের কেন্দ্র হবার পাশাপাশি এই মাটির মসজিদ সমগ্র আফিকার জন্যই অন্যতম জনপ্রিয় ল্যান্ডমার্ক। ইউনেস্কো ১৯৮৮ সালে এটিকে জেনির পুরাতন শহর সহকারে বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে ঘোষণা করে।
20231101.bn_772784_1
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9C%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%B0%20%E0%A6%AC%E0%A6%A1%E0%A6%BC%20%E0%A6%AE%E0%A6%B8%E0%A6%9C%E0%A6%BF%E0%A6%A6
জেনির বড় মসজিদ
জেনিতে প্রথম মসজিদ নির্মাণের তারিখ অজানা। তবে ধারণা করা হয় সময়টা ১২০০ সাল থেকে ১৩০০ সালের মধ্যে হবে।. আবদ আল সাদী তার ইতিহাস গ্রন্থ তারিখ আর সুদানে স্থানীয় অধিবাসীদের ভাষ্যে মসজিদের প্রাথমিক ইতিহাস উল্লেখ করেন। সেখানে বলা হয় জেনির শাসক কানবুরু ইসলাম গ্রহণ করেন এবং তার নিজ বাসভবন ত্যাগ করে সেটাকে মসজিদে রুপান্তর করেন। নিজের থাকার জন্য তিনি মসজিদের পূর্ব পাশে আরেকটি প্রাসাদ নির্মাণের করেন। মসজিদের চতুরদিকের দেয়ালও তিনি নির্মাণ করেন তবে পরবর্তী উত্তরাধিকারীরা মসজিদের দুটো মিনার সংযোজন করেন। ফরাসী পর্যটক রেনে ক্যালি ১৮২৮ সালে জেনি মসজিদ পরিদর্শন করে লেখেন “জেনিতে একটি মাটির তৈরী মসজিদ আছে যা দুটো অনুচ্চ মিনারে ঘেরা। যদিও অনেক বড় তবে অমসৃন ভাবে নির্মিত। হাজারো চড়ুই সেখানে বাসা বেধেছে। একটা অসহ্য দূর্গন্ধ ছড়িয়ে আছে আর সে কারণে সাধারনত মসজিদের বাহিরে ছোট উঠোনেই সবাই নামাজ পড়ে থাকে।"
20231101.bn_772784_2
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9C%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%B0%20%E0%A6%AC%E0%A6%A1%E0%A6%BC%20%E0%A6%AE%E0%A6%B8%E0%A6%9C%E0%A6%BF%E0%A6%A6
জেনির বড় মসজিদ
রেনে ক্যালির ভ্রমণের দশ বছর আগে ফুলানী গোত্রের নেতা সেকু আমাদু তার অভিযান শুরু করেন এবং শহরটি অধিকার করেন। তিনি মসজিদটি সংস্কার না করে ফেলে রাখেন। এই ভগ্ন মসজিদের বর্ণনাই সম্ভবত রেনে ক্যালিলি তার লেখায় দিয়েছেন। সেকু আমাদু আশেপাশের আরো কিছু ছোট ছোট মসজিদ বন্ধ করে দিয়ে একটি নতুন কেন্দ্রীয় মসজিদ নির্মাণ করেন।.পুরাতন মসজিদের অবস্থান থেকে একটু পূর্বে এই মসজিদটি নির্মাণ করা হয়। ১৮৩৪ থেকে ১৮৩৬ সালের মধ্যে নির্মিত নতুন মসজিদটি বড় হলেও এতে কোন মিনার বা অলংকরন ছিলোনা।
20231101.bn_772784_3
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9C%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%B0%20%E0%A6%AC%E0%A6%A1%E0%A6%BC%20%E0%A6%AE%E0%A6%B8%E0%A6%9C%E0%A6%BF%E0%A6%A6
জেনির বড় মসজিদ
লুইস আর্কিনার্ড (Louis Archinard) এর নেতৃত্বে ফরাসী বাহিনী ১৮৯৩ সালের এপ্রিলে জেনি শহর দখল করে। তার পরপরই ফরাসী সাংবাদিক ফেলিক্স দুবো (Félix Dubois') শহরটি ভ্রমণ করেন এবং আদি মসজিদের ভগ্নাবশেষের বিবরন দেন। তার পরিদর্শনের সময় ভগ্ন মসজিদের অভ্যন্তরভাগ একটি সমাধি হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছিলো। ১৮৯৭ সালে তার বই দ্য মিস্ট্রিয়াস টিম্বুকটুতে (Timbuktu the mysterious), মসজিদটি ধ্বংসের আগে এর অবয়ব কেমন ছিলো তার অনুমান ভিত্তিক কিছু ধারণা নকশা সংযোজন করেন।
20231101.bn_772784_4
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9C%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%B0%20%E0%A6%AC%E0%A6%A1%E0%A6%BC%20%E0%A6%AE%E0%A6%B8%E0%A6%9C%E0%A6%BF%E0%A6%A6
জেনির বড় মসজিদ
১৯০৬ সালে ফরাসী প্রশাসন জেনি মসজিদকে এর প্রথম অবস্থানে পুন:নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয় এবং সেকু আমাদুর মসজিদের যায়গায় ধর্মীয় বিদ্যালয় স্থাপন করে। ১৯০৭ সালে মসজিদের পুন:নির্মাণ সম্পন্ন হয়। জেনির রাজমিস্ত্রি সংঘের প্রধান ইসমাইলা ত্রাউরিকে নির্দেশ দেয়া হয় দ্রুত কাজ শেষ করার জন্য। সেই সময়ের তোলা একটি ছবি থেকে বোঝা যায় যে অন্তত কিছু বহি:দেয়ালকে এর আদি অবস্থানে বসানোর চেস্টা করা হয়েছে যদিও ভেতরের পিলারগুলির অবস্থান আগের মতো ছিলো কিনা বোঝা যায়নি।
20231101.bn_772784_5
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9C%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%B0%20%E0%A6%AC%E0%A6%A1%E0%A6%BC%20%E0%A6%AE%E0%A6%B8%E0%A6%9C%E0%A6%BF%E0%A6%A6
জেনির বড় মসজিদ
নতুন স্থাপনার ক্বিবলার দেয়ালে তিনটি বড় মিনারকে প্রতিসম অবস্থানে বসানো হয়। মসজিদের নতুন চেহারা কিছুটা ফরাসী ধাচের হয়েছে বলে বিতর্কও তৈরী হয়। . ফেলিক্স দুবো (Félix Dubois') ১৯১০ সালে পুনরায় জেনি গমন করেন এবং নতুন চেহারার মসজিদ দেখে স্তম্ভিত হন। তিনি বিশ্বাস করতেন যে এই অনাকাংখিত পরিবর্তনের দায়টা ফরাসী কর্তৃপক্ষের উপরই বর্তায়। নতুন ভবনের দেয়ালে যে সূচালো কোন (cone) সংযোজন করা হয়েছে তা বারোক মন্দিরে স্রস্টার উদ্দেশ্যে নিবেদনের চিহ্ন প্রকাশ করে। তবে ভিন্নমত পোষন করেন জেন লুইস বার্গিও (Jean-Louis Bourgeois)। তার মতে কিছু অভ্যন্তরীন খিলান ছাড়া বাকী স্থাপনায় দৃশ্যত কোন ফরাসী প্রভাব নেই। এমনকি এ খিলানগুলোও প্রকৃতপক্ষে আফ্রিকান স্থাপত্য দ্বারা প্রভাবিত।
20231101.bn_772784_6
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9C%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%B0%20%E0%A6%AC%E0%A6%A1%E0%A6%BC%20%E0%A6%AE%E0%A6%B8%E0%A6%9C%E0%A6%BF%E0%A6%A6
জেনির বড় মসজিদ
ফরাসী নৃ-তত্ববিদ মাইকেল লেইরি (Michel Leiris), ১৯৩১ সালে মালি ভ্রমণ করে বলেন নতুন যে মসজিদ হয়েছে তা দেখেই বোঝা যায় যে এটা ইউরোপিয়ানদের কাজ। তিনি আরো বলেন স্থানীয় জনগণ এত বিরক্ত যে এর পরিচ্ছন্নতা কাজে তাদের আগ্রহ নস্ট হয়ে গেছে। প্রয়োজনে শাস্তির ভয় দেখিয়ে কাজ করাতে হচ্ছে।
20231101.bn_772784_7
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9C%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%B0%20%E0%A6%AC%E0%A6%A1%E0%A6%BC%20%E0%A6%AE%E0%A6%B8%E0%A6%9C%E0%A6%BF%E0%A6%A6
জেনির বড় মসজিদ
মসজিদের পূর্ব দেয়ালের সামনের খোলা চত্বরে দুটো সমাধি আছে। দক্ষিণের বড় সমাধি ১৮ শতাব্দীর বিখ্যাত ইমাম আমানি ইসমাইলিয়ার। ফরাসী উপনিবেশিক শাসনামলে মসজিদের পূর্ব পাশে একটি পুকুর ছিলো যেটিকে পরে ভরাট করে মাঠ সম্প্রসারণ করা হয়। এখানে এখন সাপ্তাহিক বাজার অনুষ্ঠিত হয়।
20231101.bn_772784_8
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9C%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%B0%20%E0%A6%AC%E0%A6%A1%E0%A6%BC%20%E0%A6%AE%E0%A6%B8%E0%A6%9C%E0%A6%BF%E0%A6%A6
জেনির বড় মসজিদ
১৯৯৬ সালে ভোগ ম্যাগাজিন মসজিদের অভ্যন্তরে ফ্যাশন শো এর শ্যুটিং করে। তবে ম্যাগাজিনে প্রকাশিত মডেলদের সংক্ষিপ্ত পোষাকের ছবিতে স্থানীয় জনসাধারনের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া হয়। এ ঘটনার সূত্র ধরে মসজিদে অমুসলিমদের প্রবেশাধিকার সংকুচিত হয়ে পড়ে।
20231101.bn_772784_9
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9C%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%B0%20%E0%A6%AC%E0%A6%A1%E0%A6%BC%20%E0%A6%AE%E0%A6%B8%E0%A6%9C%E0%A6%BF%E0%A6%A6
জেনির বড় মসজিদ
জেনির বড় মসজিদের দেয়াল রোদে শুকানো মাটির ইটের তৈরী। বালু এবং মাটির সংমিশ্রনে তৈরী মশলাকে আস্তর দিয়ে ঢেকে দেয়া হয় ফলে মসৃন এবং নান্দনিক ভাব ফুটে ওঠে। মাটির দেয়াল শক্তিশালী করতে আফ্রিকান পাম গাছের কাঠামো ব্যবহার করা হয় যা তোরণ নামে পরিচিত। কাঠিগুলোর অংশবিশেষ দেয়াল থেকে বাইরের দিকে বের হয়ে থাকে। বাৎসরিক সংস্কার কাজের সময়েে এই কাঠিগুলোকে স্ক্যাফোল্ডিং হিসেবে ব্যবহার করা যায়। সিরামিকের অর্ধাকৃতির পাইপ ছাদ থেকে বের করা যাতে বৃস্টির পানির ধারা দেয়াল থেকে দূরে থাকে।
20231101.bn_772784_10
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9C%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%B0%20%E0%A6%AC%E0%A6%A1%E0%A6%BC%20%E0%A6%AE%E0%A6%B8%E0%A6%9C%E0%A6%BF%E0%A6%A6
জেনির বড় মসজিদ
মসজিদটি একটি ভিত্তির উপর অবস্থিত যার মাপ হচ্ছে । বাজার এলাকার ভূমিতল থেকে উচু ভিত্তির কারণে বন্যার হাত থেকে সুরক্ষা পাওয়া সহজ হয়েছে। ছয়টি সিড়ি দিয়ে এই ভিত্তির উপরে ওঠা যায়। প্রধান প্রবেশ দরজা হচ্ছে মসজিদের উত্তর পাশে। মসজিদের বাহিরের দেয়াল পুরোপুরি সমকোনে নেই বলে নকশা অনেকটা ট্রাপিজিয়াম ধাচের মনে হবে।
20231101.bn_772784_11
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9C%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%B0%20%E0%A6%AC%E0%A6%A1%E0%A6%BC%20%E0%A6%AE%E0%A6%B8%E0%A6%9C%E0%A6%BF%E0%A6%A6
জেনির বড় মসজিদ
মসদিজের নামাজ ঘর পূর্বে অর্থাৎ কিবলা মক্কা নগরের দিকে ফেরানো। পূর্ব পাশে শহরের বাজার এলাকা তাই আড়ালে পড়ে গিয়েছে। তিনটি বড় বাক্স আকৃতির টা্ওয়ার বা মিনারের দ্বারা ক্বিবলাকে দেয়াল থেকে আলাদাভাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। মাঝের মিনার ১৬মিটার উচু। প্রত্যেকটি মিনারেরে একদম উপরে কোনাকৃতির পিনাকল। পূর্ব দেয়াল প্রায় ১ মিটার চওঢ়া এবং বাট্রেসের সাহায্যে মজবুত করা। এগুলোর উপরেও পিনাকল আছে। দেয়ালের কোনাগুলোও তোরন ও পিনাকল সমৃদ্ধ আয়তাকার বাট্রেস দ্বারা সাজানো।
20231101.bn_772784_12
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9C%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%B0%20%E0%A6%AC%E0%A6%A1%E0%A6%BC%20%E0%A6%AE%E0%A6%B8%E0%A6%9C%E0%A6%BF%E0%A6%A6
জেনির বড় মসজিদ
মুল নামাজ ঘরের মাপ হচ্ছে , মসজিদের সামনের অর্ধেক পরিসর এই ঘর। পাম গাছের কাঠির সমন্বয়ে তৈরী মাটির ছাদকে ধরে রাখার জন্য উত্তর দক্ষিণে প্রলম্বিত নয়টি অভ্যন্তরীন দেয়াল আছে যার মধ্যে সারি সারি কেন্দ্রমুখী খিলানের অবস্থান। খিলানের নিচের অংশ পিলারে পরিনত হয়েছে আবার উপরিভাগ একদম ছাদের সাথে গিয়ে মিশেছে যেন ছাদের ওজন নিতে পারে। এভাবে ভিতরে ৯০টি পিলারের সমাবেশ ঘটেছে। এত সংখ্যক পিলারের কারণে ভিতরের পরিসরের দৃশ্যমানতা কিছুটা ক্ষুণ্ণ হয়েছে। উত্তর এবং দক্ষিণ দেয়ালে অনিয়মিত এবং ছোট আকারের জানালার কারণে ভিতর পরিসরে খুব বেশি আলোর প্রবেশ সম্ভব হয়না। মসজিদের মেঝে এখনো বালূ মাটির রয়ে গেছে।
20231101.bn_772784_13
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9C%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%B0%20%E0%A6%AC%E0%A6%A1%E0%A6%BC%20%E0%A6%AE%E0%A6%B8%E0%A6%9C%E0%A6%BF%E0%A6%A6
জেনির বড় মসজিদ
নামাজ ঘরের তিনটি মিনারই মেহরাব সমৃদ্ধ। এদের মধ্যে কেন্দ্রীয় অবস্থানে থাকা মেহরাবে ইমাম নামাজের জন্য দাড়ান। মেহরাবের ছাদের একটি সরু ফাঁকা দিয়ে মেহরাবের মিনারের উপর তলায় একটি ছোট রুমের সাথে সংযোগ তৈরী করা হয়। কেন্দ্রীয় মেহরাবের ডানপাশের অপেক্ষাকৃত ছোট মিনারে মিম্বর অবস্থিত যেখানে দাড়িয়েে ইমাম শুক্রবারের খুতবা দেন।
20231101.bn_772784_14
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9C%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%B0%20%E0%A6%AC%E0%A6%A1%E0%A6%BC%20%E0%A6%AE%E0%A6%B8%E0%A6%9C%E0%A6%BF%E0%A6%A6
জেনির বড় মসজিদ
ক্বিবলা দেয়ালে থাকা মিনারগুলোতে কোন সিড়ি নেই। অন্য দিকে থাকা দুটো মিনারের ভিতর দিয়ে সিড়ি উঠে গিয়েছে ছাদে। এদের মধ্যে একটি নামাজ ঘরের দক্ষিণ-পশ্চিম কর্নারে এবং অপরটি উত্তর পাশে প্রবেশ দরজার পাশে অবস্থিত। দ্বিতীয় সিড়ি সরাসরি বাইরে থেকে ব্যবহার করা যায়। বায়ু নিস্কাশনের জন্য ছাদে ছোট ছোট কিছু ছিদ্র আছে যা মাটির হাড়ি দ্বারা ঢেকে রাখা হয় এবং যখন সরিয়ে দেয়া হয় তখন গরম বাতাস বের করে ভিতরের পরিসরকে আরামদায়ক করে তোলে। নামাজ ঘরের পশ্চিমে অন্ত:স্থ উঠোনের দৈর্ঘ ২০ মিটা এবং প্রস্থ ৪৬ মিটার। তিন দিক ঘেরা গ্যালারির দেয়ালে খিলান সমৃদ্ধ জানালা। পশ্চিমের গ্যালারী মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত।
20231101.bn_772784_15
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9C%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%B0%20%E0%A6%AC%E0%A6%A1%E0%A6%BC%20%E0%A6%AE%E0%A6%B8%E0%A6%9C%E0%A6%BF%E0%A6%A6
জেনির বড় মসজিদ
যদিও এটি নিয়মিত সংস্কার করা হয় তবু সেই ১৯০৭ সালে তৈরী হওয়া বহি:দেয়ালে খুব সামান্যই পরিবর্তন এসেছে শুধুমাত্র মেহরাব সংযোজন ছাড়া। মুল মসজিদে মেহরাব বলতে দেয়াল থেকে একটু বাড়তি অংশ ছিলো। এটা দেখতে অনেকটা উত্তর দেয়ালে প্রধান গেটের খিলানের মতো মনে হতো। তোরণও ছিলো খুব অল্প যাতে কর্নার বার্টেস ছিলোনা। ফলিক্স ডুবোর প্রকাশিত ছবিতেও দেখা যায় ১৯৯০ সালের দিকে দেয়ালে দুটো অতিরিক্ত তোরণ সারি যোগ করা হয়।
20231101.bn_772784_16
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9C%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%B0%20%E0%A6%AC%E0%A6%A1%E0%A6%BC%20%E0%A6%AE%E0%A6%B8%E0%A6%9C%E0%A6%BF%E0%A6%A6
জেনির বড় মসজিদ
জেনির বড় মসজিদের রক্ষনাবেক্ষন কাজে পুরো জনপদ সক্রিয় ভূমিকা পালন করে। প্রতি বছরে একবার একটি ভিন্নধর্মী উৎসবের আয়োজন করা হয়ে থাকে। এইদিনে গান, খাওয়া দাওয়া, ইত্যাদিরও আয়োজন থাকে তবে মুল লক্ষ হচ্ছে বিগত বছরের তাপমাত্রা, আদ্রতার হ্রাসবৃদ্ধি, এবং বৃস্টি ও প্রাকৃতিক কারণে যে স্বাভাবিক ক্ষয় বা ফাটল হয়েছে সেটাকে মেরামত করা। কাজের শুরুতে প্রথমে আস্তর তৈরী করা হয়। কয়েকদিন সময় লাগে এটা ব্যবহার উপযোগী হতে। এরপরে পর্যায়ক্রমে অল্প অল্প করে দেয়ালের গায়ে লাগাতে হয়। সাধারনত যুবক শ্রেণীর কাধে এই দ্বায়িত্ব চাপে। মসজিদের দেয়ালে বের হয়ে থাকা কাঠিতে চড়ে এই কাজ সম্পন্ন হয়।
20231101.bn_772784_17
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9C%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%B0%20%E0%A6%AC%E0%A6%A1%E0%A6%BC%20%E0%A6%AE%E0%A6%B8%E0%A6%9C%E0%A6%BF%E0%A6%A6
জেনির বড় মসজিদ
যারা নিচে থাকে তাদের কাজ হচ্ছে এই মসলা আস্তর বহন করে প্রথম লোকদের কাছে পৌছে দেয়া। কাজটাকে আনন্দমুখর করার জন্য দৌড় প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হয় যেন কে কার আগে মসলা আস্তর নিয়ে মসজিদের কাছে পৌছাতে পারে। মহিলা এবং শিশুরা পানি বহন করে। মসজিদ পরিচালনার সাথে যুক্ত দ্বায়িত্বশীলরা সার্বিক নির্দেশনা প্রদান করেন। বয়স্ক শ্রেনীর মানুষ যারা একসময় এ কাজে অংশ গ্রহণ করতো তারাও উপস্থিত থাকে এই উৎসবমুখর কাজের দর্শক হয়ে।
20231101.bn_772784_18
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9C%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%B0%20%E0%A6%AC%E0%A6%A1%E0%A6%BC%20%E0%A6%AE%E0%A6%B8%E0%A6%9C%E0%A6%BF%E0%A6%A6
জেনির বড় মসজিদ
১৯৩০ সালে দক্ষিণ ফ্রান্সের ফ্রেজুস (Fréjus) শহরে জেনি মসজিদের একটি বাস্তব প্রতিলিপি তৈরী হয়। ,সিমেন্ট দিয়ে তৈরী করে লাল রংয়ের আস্তর করে মুল মসজিদের সাথে সাদৃশ্য আনা হয়। ধারণা করা হয় শীতকালীন মহড়া উপলক্ষে যেসব পশ্চিম আফ্রিকান উপনিবেশিক সৈন্যকে এখানে অবস্থান করতে হতো তাদের নামাজের যায়গা হিসেবে এটি তৈরী করা হয়।
20231101.bn_772784_19
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9C%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%B0%20%E0%A6%AC%E0%A6%A1%E0%A6%BC%20%E0%A6%AE%E0%A6%B8%E0%A6%9C%E0%A6%BF%E0%A6%A6
জেনির বড় মসজিদ
মধ্যযুগে মুল মসজিদটি পরিচালিত হতো তখনকার সময়ের আফ্রিকার খুব গুরুত্বপূর্ণ ইসলামিক শিক্ষাকেন্দ্র কর্তৃক। সহস্রাধিক ছাত্রছাত্রী কোরআন অধ্যয়নের জন্য জেনির মাদ্রাসায় আসতো। ইউনেস্কো ১৯৮৮ সালে জেনির বড় মসজিদ সহ পুরো জেনি শহরকে বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে ঘোষণা করে। জেনিতে আরো কিছু পুরাতন ঐতিহ্যবাহী মসজিদ আছে তবে বড় মসজিদই জেনি শহরের এবং সমগ্র মালির জন্য পরিচয়বাহী।
20231101.bn_772784_20
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9C%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%B0%20%E0%A6%AC%E0%A6%A1%E0%A6%BC%20%E0%A6%AE%E0%A6%B8%E0%A6%9C%E0%A6%BF%E0%A6%A6
জেনির বড় মসজিদ
২০০৬ সালের ২০ জানুয়ারি একদল অচেনা মানুষদের পবিত্র মসজিদের ছাদে দেখে শহরের স্থানীয়দের মধ্যে উত্তেজনা শুরু হয়। এই দলটি প্রকৃতপক্ষে আগা খান কালচারাল একাডেমির অর্থায়নে মসজিদের সংস্কার কাজের অংশ হিসেবে ছাদ পরিদর্শন করছিলো । অবস্থার প্রেক্ষিতে তারা দ্রুত নেমে যান। কিন্তু এই সুযোগে আমেরিকান দূতাবাস কর্তৃক উপহার দেয়া মসজিদের পাখাগুলোে একদল দুস্কৃতিকারী খুলে নিয়ে শহরে পালিয়ে যায়। উত্তেজিত জনগণ সাংস্কৃতিক দলকে সামনে পেয়ে তাদেরকে দোষী মনে করে। তারা সাংস্কৃতিক মিশন ও শহরের মেয়রের বাসভবনে হামলা করে এবং মসজিদের ইমাম ও তার ভাইয়ের চারটি গাড়ি ভাংচুর করে। স্থানীয় পুলিশ এসে শক্তি প্রয়োগ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয় ততক্ষনে একজন মারা যায়।
20231101.bn_772784_21
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9C%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%B0%20%E0%A6%AC%E0%A6%A1%E0%A6%BC%20%E0%A6%AE%E0%A6%B8%E0%A6%9C%E0%A6%BF%E0%A6%A6
জেনির বড় মসজিদ
২০০৯ সালের ৫ নভেম্বর বৃহস্পতিবার কিবলা দেয়ালের দক্ষিণ মিনারের উপরের অংশ দিনব্যাপী ৭৫ মিঃমিঃ (৩ ইঞ্চি) প্রবল বৃস্টির কারণে ভেঙে পড়ে। আগা খান ট্রাস্ট ফর কালচার টাওয়ারের পুন:নির্মাণের জন্য সহায়তা প্রদান করে।
20231101.bn_772793_0
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9F%E0%A6%BF%E0%A6%9F%E0%A6%BE%E0%A6%97%E0%A6%A1%E0%A6%BC%20%E0%A6%93%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%BE%E0%A6%97%E0%A6%A8%E0%A6%B8
টিটাগড় ওয়াগনস
টিটাগড় ওয়াগনস ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, টিটাগড়ের ভিত্তিতে রেলওয়ে ওয়াগন প্রস্তুতকারক। সংস্থাটি ভারতীয় রেল, বেইলি ব্রিজ এবং খনির সরঞ্জামগুলির জন্য কোচ তৈরি করে। টিটাগড় মেরিনস নামে একটি সহায়ক সংস্থা জাহাজ নির্মাণ শিল্পে কাজ করে।
20231101.bn_772793_1
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9F%E0%A6%BF%E0%A6%9F%E0%A6%BE%E0%A6%97%E0%A6%A1%E0%A6%BC%20%E0%A6%93%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%BE%E0%A6%97%E0%A6%A8%E0%A6%B8
টিটাগড় ওয়াগনস
২০১৫ সালে, টিটাগড় ইতালীয় রেল সরঞ্জাম সংস্থার ফায়ারমা ট্রাস্পোর্তিতে ৯০% অংশ সত্ত্ব অর্জন কর, ফার্মটির নাম পরিবর্তন করে টিটাগড় ফায়ারমা এসপিএ করা হয়। টিটাগড় ফায়ারমা মেট্রো রেল কোচ ডিজাইন এবং তাদের উৎপাদন কারখানায় কেসারটা, স্পেলো এবং টিটোতে অবস্থিত। সংস্থাটি ২০১২ সালে কলকাতা ভিত্তিক কর্পোরেশন শিপইয়ার্ড অধিগ্রহণ করে; এটিকে তার সহায়ক সংস্থা টিটাগড় মেরিন্সের সাথে ভারতীয় নৌবাহিনীর জন্য জাহাজ তৈরির জন্য একীভূত করা হয় এবং ২০১৩ সালে এটির প্রথম প্রতিরক্ষা চুক্তিটি জিতেছে।
20231101.bn_772793_2
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9F%E0%A6%BF%E0%A6%9F%E0%A6%BE%E0%A6%97%E0%A6%A1%E0%A6%BC%20%E0%A6%93%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%BE%E0%A6%97%E0%A6%A8%E0%A6%B8
টিটাগড় ওয়াগনস
২০১৯ সালে, টিটাগড় ফায়ারাকে মহামেট্রো দ্বারা পুনে মেট্রোর জন্য ১০২ টি অ্যালুমিনিয়াম বডিড মেট্রো রেল কোচ সরবরাহের চুক্তিতে ভূষিত করা হয়।
20231101.bn_772805_0
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%A8%E0%A7%87%20%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%8B
পুনে মেট্রো
পুনে মেট্রো পুনে সেন্ট্রালে মেট্রো রেল পরিষেবা প্রদানের জন্য নির্মাণাধীন একটি মেট্রো রেল ভিত্তিক দ্রুত গতির পরিবহন ব্যবস্থা এবং শহরটির শহরতলি পিম্পরি ও চিনচওয়াদকে যুক্ত করবে। সিস্টেমটি ৩ টি রেলপথ থাকবে যার মোট দৈর্ঘ্য ৫৪.৮ কিমি। এর মধ্যে মার্চ ২০২২ সাল পর্যন্ত, ১২ কিমি চালু রয়েছে। পিসিএমসি বিল্ডিং থেকে স্বরগেট পর্যন্ত ১৬.৫৯ কিলোমিটার দীর্ঘ লাইন ১ নির্মিত হচ্ছে, যার মধ্যে পিসিএমসি ভবন থেকে রেঞ্জ পাহাড়ের মধ্যে রেলপথ উত্তোলিত পথে নির্মিত হবে, সেখান থেকে এটি ভূগর্ভস্থ পথে চলবে। লাইন ২ ভেনজ থেকে রামওয়াদির মধ্যে একটি ১৮.৬৬ কিলোমিটার দীর্ঘ উঁচু ভায়াডাক্টের উপরে নির্মিত হবে। ২৩.৩৩ কিলোমিটার উত্তোলিত লাইন ৩ রাজীব গান্ধী ইনফোটেক পার্ক থেকে বলিওয়াদী ও শিবাজিনগর হয়ে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপের হিনজাওয়াদি (মান ও ভোয়ারওয়াদী) যাবে। তিনটি লাইনই সিভিল কোর্ট ইন্টারচেঞ্জ স্টেশনে সারিবদ্ধ হবে।
20231101.bn_772805_1
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%A8%E0%A7%87%20%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%8B
পুনে মেট্রো
২৪ ডিসেম্বর, ২০১৬ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী লাইন ১ এবং ২- এর ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন। এই দুটি লাইন ৩১.২৫ কিমি দীর্ঘ এবং মহারাষ্ট্র মেট্রো রেল কর্পোরেশন লিমিটেড (মহামেট্রো) দ্বারা নির্মাণ করা হচ্ছে, রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের একটি ৫০:৫০ যৌথ উদ্যোগ। পুনে মেট্রোর লাইন ৩ পুনে মেট্রোপলিটন অঞ্চল উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (পিএমআরডিএ) এবং টাটা রিয়েলটি এবং সিমেন্স এর মধ্যে একটি যৌথ-বেসরকারী অংশীদারত্বের ভিত্তিতে যৌথ ভেনচার দ্বারা নির্মাণ করা হবে। ১৮ ডিসেম্বর ২০১৮ সালে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী লাইন ৩- এর ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন। জুন ২০১৯ সালের মধ্যে নির্মাণ শুরু হবে এবং তিন বছরে শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
20231101.bn_772812_0
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A7%87%E0%A6%B0%20%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A7%E0%A7%80%E0%A6%A8%E0%A6%A4%E0%A6%BE%20%E0%A6%AF%E0%A7%81%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A7%87%E0%A6%B0%20%E0%A7%AA%E0%A6%A8%E0%A6%82%20%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%B0
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ৪নং সেক্টর
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ৪নং সেক্টর হলো উত্তরে সিলেট জেলার হবিগঞ্জ মহকুমা থেকে দক্ষিণে কানাইঘাট থানা পর্যন্ত ১০০ মাইল বিস্তৃত সীমান্ত এলাকা নিয়ে গঠিত বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের একটি অন্যতম সেক্টর। সিলেটের ইপিআর বাহিনীর সৈন্যদের সঙ্গে ছাত্র মুক্তিযোদ্ধাদের সমন্বয়ে এ সেক্টর গঠিত হয়েছিলো। সেক্টরটি ছোট ছোট ছয়টি সাবসেক্টরে ভাগ করা হয়েছিলো। সেক্টরের অধিনায়ক ছিলেন মেজর সি. আর. দত্ত। সেক্টরটিতে ৯৭৫ জন নিয়মিত সৈন্য এবং ৯০০০ জন সাধারণ গণবাহিনীর যোদ্ধা ছিলেন। সেক্টরটিতে অনেক পাহাড়ি অঞ্চল ও দুর্গম অঞ্চল থাকায়, এটি গেরিলা যুদ্ধের জন্য বেশ উপযোগী স্থান ছিলো। সেক্টরের রাজনৈতিক সংযুক্তিতে ছিলেন দেওয়ান ফরিদ গাজী এবং প্রশাসনিক দায়িত্বে ছিলেন আজিজুর রহমান।
20231101.bn_772812_1
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A7%87%E0%A6%B0%20%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A7%E0%A7%80%E0%A6%A8%E0%A6%A4%E0%A6%BE%20%E0%A6%AF%E0%A7%81%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A7%87%E0%A6%B0%20%E0%A7%AA%E0%A6%A8%E0%A6%82%20%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%B0
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ৪নং সেক্টর
৪ নং সেক্টরের হেডকোয়ার্টার করিমগঞ্জে এবং পরে আসামের মাসিমপুরে স্থানান্তরিত হয়। সেক্টরটির এলাকা ছিল প্রধানত সিলেট জেলার হবিগঞ্জ মহকুমা থেকে দক্ষিণে কানাইঘাট থানা পর্যন্ত ১০০ মাইল বিস্তৃত এলাকা। তবে এটাকে বিস্তৃতভাবে ভারতের মেঘালয়ের ডাউকি থেকে ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলার খােয়াই পর্যন্ত প্রায় ৩৪০ মাইল পর্যন্তও বলা যায়। অর্থাৎ সিলেট জেলার পূর্বাঞ্চল খােয়াই-শায়েস্তাগঞ্জ রেললাইন ছাড়া পূর্ব ও উত্তর দিকে সিলেট ডাউকি সড়ক পর্যন্ত এবং হবিগঞ্জ জেলা থেকে দক্ষিণে কানাইঘাট পুলিশ স্টেশন পর্যন্ত এই সেক্টরের বিসতৃতি ছিল।
20231101.bn_772812_2
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A7%87%E0%A6%B0%20%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A7%E0%A7%80%E0%A6%A8%E0%A6%A4%E0%A6%BE%20%E0%A6%AF%E0%A7%81%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A7%87%E0%A6%B0%20%E0%A7%AA%E0%A6%A8%E0%A6%82%20%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%B0
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ৪নং সেক্টর
এই সেক্টরটি পাথরিয়া পাহাড়, সাতগাঁও পাহাড় ইত্যাদি পাহাড়সহ পাহাড়ি অঞ্চলে সমৃদ্ধ ছিলো। এছাড়াও এই অঞ্চলে প্রায় একশােটি চা-বাগান ছিলো। এইজন্য সামরিক দৃষ্টিকোণ থেকে সেক্টরটি গেরিলাযুদ্ধের উপযুক্ত ছিল, সাথে সাথে পাকিস্তানি হানাদার সৈন্যের জন্য অনুপযোগী দুর্গম পথ ছিলো। ফলে এই অঞ্চলে বাঙালি মুক্তিযোদ্ধারা হালকা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে অনায়সে চলাচল করতে পারতো। এই সেক্টরের প্রশাসনিক দায়িত্ব দেখভাল করতেন আজিজুর রহমান ও ডক্টর হাসান দুই প্রশাসনিক কর্মকর্তা।
20231101.bn_772812_3
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A7%87%E0%A6%B0%20%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A7%E0%A7%80%E0%A6%A8%E0%A6%A4%E0%A6%BE%20%E0%A6%AF%E0%A7%81%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A7%87%E0%A6%B0%20%E0%A7%AA%E0%A6%A8%E0%A6%82%20%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%B0
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ৪নং সেক্টর
সেক্টর কমান্ডার চিত্ত রঞ্জন দত্ত তার ৪ নং সেক্টরকে ৬টি সাবসেক্টরে ভাগ করে ৬ জন সাহসী মুক্তিযােদ্ধাকে পরিচালনার দায়িত্ব দেন। প্রতিটি সাবসেক্টরে একজন সাবসেক্টর কমান্ডার এবং একাধিক সহ-সাবসেক্টর কমান্ডার ছিলো। ৬র্টি সাবসেক্টর হলো যথা:-
20231101.bn_772812_4
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A7%87%E0%A6%B0%20%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A7%E0%A7%80%E0%A6%A8%E0%A6%A4%E0%A6%BE%20%E0%A6%AF%E0%A7%81%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A7%87%E0%A6%B0%20%E0%A7%AA%E0%A6%A8%E0%A6%82%20%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%B0
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ৪নং সেক্টর
জালালপুর সাবসেক্টর: গণবাহিনীর সদস্য মাহবুবুর রব সাদী এই সাবসেক্টরের কমান্ডার হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন, ১৯৭১ সালে তার বয়স মাত্র ২৬ বছর ছিলো। তার নেতৃত্বে এই সাব সেক্টর থেকে আটগ্রাম, জাকীগঞ্জ, লুবাছড়া ও কানাইঘাটসহ বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। ১৯৭১ সালের নভেম্বরের শেষ দিকে তিনি হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ এলাকায় প্রায় ৫০ জন গণবাহিনীর সদস্য নিয়ে নবীগঞ্জ এলাকা মুক্ত করার জন্য অভিযান পরিচালনা করেন।
20231101.bn_772812_5
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A7%87%E0%A6%B0%20%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A7%E0%A7%80%E0%A6%A8%E0%A6%A4%E0%A6%BE%20%E0%A6%AF%E0%A7%81%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A7%87%E0%A6%B0%20%E0%A7%AA%E0%A6%A8%E0%A6%82%20%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%B0
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ৪নং সেক্টর
বারাপুঞ্জী সাবসেক্টর: এই সাবসেক্টরের কমান্ডার ছিলেন ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ আবদুর রব। তিনি মূলত ছিলেন একজন সাপ্লাই কোরের অফিসার, তবে এখানে তিনি পদাতিক সেনা পরিচালনার দায়িত্ব নেন। তিনি এই সাবসেক্টরের অধীনে বিয়ানীবাজার, শারােপার, বরােগ্রাম, জাকীগঞ্জ, আটগ্রাম, কানাইঘাট, চিকমাগুল, এলাকায় পাকিস্তানি সেনাদের সাথে যুদ্ধ করেছেন। তার সঙ্গে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর লেফট্যানেন্ট নিরঞ্জন ভট্টাচার্য ছিলেন।
20231101.bn_772812_6
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A7%87%E0%A6%B0%20%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A7%E0%A7%80%E0%A6%A8%E0%A6%A4%E0%A6%BE%20%E0%A6%AF%E0%A7%81%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A7%87%E0%A6%B0%20%E0%A7%AA%E0%A6%A8%E0%A6%82%20%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%B0
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ৪নং সেক্টর
আমলসিদ সাবসেক্টর: এই সাবসেক্টরের কমাণ্ডার ছিলেন লেফট্যানেন্ট জহির। তিনি কানাইঘাট অভিযানে দক্ষতার পরিচয় দিয়েছিলেন। ১৯৭১ সালের ডিসেম্বর মাসের প্রথম দিকে সাবসেক্টরটি জেড ফোর্সের প্রথম বেঙ্গল রেজিমেন্টের সঙ্গে সম্মিলিতভাবে কাজ করেছলো।
20231101.bn_772812_7
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A7%87%E0%A6%B0%20%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A7%E0%A7%80%E0%A6%A8%E0%A6%A4%E0%A6%BE%20%E0%A6%AF%E0%A7%81%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A7%87%E0%A6%B0%20%E0%A7%AA%E0%A6%A8%E0%A6%82%20%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%B0
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ৪নং সেক্টর
কুকিল সাবসেক্টর: এই সাবসেক্টরের কমান্ডার ছিলেন ফ্লাইট লেফট্যানেন্ট কাদের। তিনি মূলত বিমানবাহিনীর অফিসার ছিলেন, তবে এখানে তিনি পদাতিক সৈন্য হিসাবে কাজ করেছিলেন। এই সাবসেক্টরটি দিলখুশ, কুলাউড়া, বিয়ানীবাজার, জুরী প্রভৃতি এলাকায় যুদ্ধ পরিচালনা করেছিলো। |মেজর শরিফুল হক ডালিম পরে এই সাবসেক্টরে যােগ দিয়েছিলেন। ডালিম মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করার জন্য করার জন্য পাকিস্তান থেকে পালিয়ে এসেছিলেন।
20231101.bn_772812_8
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A7%87%E0%A6%B0%20%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A7%E0%A7%80%E0%A6%A8%E0%A6%A4%E0%A6%BE%20%E0%A6%AF%E0%A7%81%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A7%87%E0%A6%B0%20%E0%A7%AA%E0%A6%A8%E0%A6%82%20%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%B0
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ৪নং সেক্টর
কৈলাসহর সাবসেক্টর: এই সাবসেক্টরের কমান্ডার হিলেন লেফট্যানেন্ট ওয়াকিজ্জামান। ভারতের কৈলাশশহর এলাকার নয়টি গ্রাম দখল করে সেখানে বাংলাদেশের পতাকা উড়িয়েছিলো এই সাবসেক্টরটি। কৈলাসহরে অভিযানের পরে ফেঞ্চুগঞ্জের দিকে এগিয়েছিলো এই উপদলটি। ডিসেম্বর মাসে যখন ভারত থেকে সাহায্য আসে, তখন ৫৯ ব্রিগেডের সাথে মিলিত হয়ে যুদ্ধ করে।
20231101.bn_772812_9
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A7%87%E0%A6%B0%20%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A7%E0%A7%80%E0%A6%A8%E0%A6%A4%E0%A6%BE%20%E0%A6%AF%E0%A7%81%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A7%87%E0%A6%B0%20%E0%A7%AA%E0%A6%A8%E0%A6%82%20%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%B0
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ৪নং সেক্টর
কমলপুর সাবসেক্টর: এই সাবসেক্টরের কমান্ডার ছিলেন ছিলেন মেজর এনাম। তিনিও পাকিস্তান থেকে পালিয়ে এসে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। তিনি তার দল নিয়ে রাজাঘাট, ধলাইসহ বিভিন্ন স্থানের চা বাগান নষ্ট করে, যাতে পাক হানাদাররা অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল হয়ে পরে। ডিসেম্বরে ভারতের সাহায্য আসার পরে এরাও ভারতের ৮১ পদাতিক বাহিনীর সঙ্গে যুক্ত হয়ে যুদ্ধ করে।
20231101.bn_772812_10
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A7%87%E0%A6%B0%20%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A7%E0%A7%80%E0%A6%A8%E0%A6%A4%E0%A6%BE%20%E0%A6%AF%E0%A7%81%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A7%87%E0%A6%B0%20%E0%A7%AA%E0%A6%A8%E0%A6%82%20%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%B0
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ৪নং সেক্টর
৪ নং সেক্টরের মুক্তিযােদ্ধাদের লােহারবন্দ নামক স্থানে প্রশিক্ষণ দেয়া হতাে। এছাড়াও স্থানটি রিলিফ ক্যাম্প, শরনার্থী শিবির, আশ্রয়স্থল হিসাবে ব্যবহৃত হতো। এই ক্যাম্পে ছাত্র-যুবক সংগ্রহ করা ও তাদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা, আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থায় সাহায্য করেছিলেন স্থানীয় নেতা-দেওয়ান ফরিদ গাজী,ডাঃ মৃগেন কুমার দাস চৌধুরী, নুরুল ইসলাম আজিজ, তােয়াবুর রহিম, ডঃ আলি, হাবিবুর রহমান, ডঃ মালেক, আব্দুল লতিফ প্রমুখ ব্যক্তিবর্গ।
20231101.bn_772812_11
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A7%87%E0%A6%B0%20%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A7%E0%A7%80%E0%A6%A8%E0%A6%A4%E0%A6%BE%20%E0%A6%AF%E0%A7%81%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A7%87%E0%A6%B0%20%E0%A7%AA%E0%A6%A8%E0%A6%82%20%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%B0
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ৪নং সেক্টর
এই সেক্টরের কাজ ছিল পাকিস্তানি সেনাদের ছোট-খাটো ঘাটি ধ্বংস করা, অ্যামবুশ করা, বিদ্যুৎ সরবরাহ বিপর্যস্ত করা, মাইন পেতে রাখা প্রভৃতি। আর গণবাহিনীর কাজ ছিলো পুল ও সাঁকো ধ্বংস করা। মুক্তিবাহিনীর উচ্চ মহলের নির্দেশনায় থেকে সি. আর. দত্ত ৪ নং সেক্টরের এলাকার সকল চা-বাগান নষ্ট করে দেয়, যাতে করে পাকসেনারা চা-বাগান থেকে কোন অর্থ সরবরাহ না করতে পারে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ৫ নং সেক্টরের সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত এবং বিধু দাশগুপ্তকে সুনামগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালাতে ৪ নং সেক্টরকে জন্য সাহায্য করেছিলো। তারা দিরাই অভিযান, মখালকান্দি অভিযান এবং আজমিরিগঞ্জ অভিযানে দক্ষতার পরিচয় দিয়েছিলো।
20231101.bn_772812_12
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A7%87%E0%A6%B0%20%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A7%E0%A7%80%E0%A6%A8%E0%A6%A4%E0%A6%BE%20%E0%A6%AF%E0%A7%81%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A7%87%E0%A6%B0%20%E0%A7%AA%E0%A6%A8%E0%A6%82%20%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%B0
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ৪নং সেক্টর
সেক্টরটি মে মাস থেকে নিজ নিজ এলাকার পাকিস্তান সেনাদের উপর আক্রমণ করতে শুরু করে, এবং জুন মাসে আক্রমণের পরিমান বাড়িয়ে দেয়। এর ফলে পাকিস্তানি সেনাদের শক্তি ধীরে ধীরে কমতে শুরু করে। জুন-জুলাই মাসে সেক্টরটির আক্রমণের ধরন ছিলো গেরিলা কায়দা, তারা আক্রমণ করে পিছিয়ে আসতো। মুক্তিবাহিনীর উদ্দেশ্য ছিলো পাকিস্তানি সেনাদের ক্ষতি সাধন করা। এই দুই মাসে ঘাটি লাটু, বড়লেখা, ছোটলেখা, কুলতলা, আটগ্রাম প্রভৃতি গ্রামের উপর আঘাত হানে সেক্টরটির মুক্তিবাহিনী। পাশাপাশি রাজকি, ফুলতলা, শাওকি, পৃথিমপাশা, সমনভাগ, সোনা-রুপা, হাসনাবাদ, চূড়ামণি, গাহেরা, সাগরলাল প্রভৃতি চা-বাগান ধ্বংস করে দেয়।
20231101.bn_772812_13
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A7%87%E0%A6%B0%20%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A7%E0%A7%80%E0%A6%A8%E0%A6%A4%E0%A6%BE%20%E0%A6%AF%E0%A7%81%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A7%87%E0%A6%B0%20%E0%A7%AA%E0%A6%A8%E0%A6%82%20%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%B0
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ৪নং সেক্টর
আগস্ট-সেপ্টেম্বর মাসে উচ্চ মহলের নির্দেশে আক্রমণের পরিমান আরো বাড়িয়ে দেওয়া হয়। এরফলে পাকবাহিনী আরো কোণঠাসা হয়ে পরে, তাদের মধ্যে কিছুটা হতাশা চলে আসে। পাকবাহিনী শুরুতে হিন্দুদের উপর অত্যাচার চালালেও অগাস্ট-সেপ্টেম্বর মাসে সকল বাঙালিদের উপর অত্যাচার শুরু করে দেয়। এই সুযোগে মুক্তিবাহিনীও সুযোগ বুঝে বাংলাদেশের রাজাকারদের বিচার শুরু করে দেয়।
20231101.bn_772812_14
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A7%87%E0%A6%B0%20%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A7%E0%A7%80%E0%A6%A8%E0%A6%A4%E0%A6%BE%20%E0%A6%AF%E0%A7%81%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A7%87%E0%A6%B0%20%E0%A7%AA%E0%A6%A8%E0%A6%82%20%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%B0
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ৪নং সেক্টর
অক্টোবর মাসের মাঝামাঝি ও শেষ সপ্তাহ ধরে সেক্টরটির সৈন্যরা পুরোদমে পাকিস্তানি বাহিনীদের উপর আক্রমণ চালায়, এবার উদ্দেশ্য তাদের পূর্ব পাকিস্তান থেকে বিতাড়িত করা। জালালপুর সাবসেক্টরের কমান্ডার মাহবুবুর রব সাদী লুবাছড়া চা-বাগান থেকে আক্রমণ শুরু করে।
20231101.bn_772812_15
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A7%87%E0%A6%B0%20%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A7%E0%A7%80%E0%A6%A8%E0%A6%A4%E0%A6%BE%20%E0%A6%AF%E0%A7%81%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A7%87%E0%A6%B0%20%E0%A7%AA%E0%A6%A8%E0%A6%82%20%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%B0
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ৪নং সেক্টর
নয় স্বাধীনতা যুদ্ধের বিভিন্ন খন্ড যুদ্ধে এই সেক্টরে শতাধিক মুক্তিযােদ্ধা শহীদ হয়েছেন। আরো কয়েকশাে মুক্তিযোদ্ধা আহত হয়েছেন।
20231101.bn_772826_0
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B0%E0%A7%81%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%95%E0%A6%B0%20%E0%A6%9C%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%B0%20%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A1%E0%A6%BC%E0%A6%BF
রুদ্রকর জমিদার বাড়ি
রুদ্রকর জমিদার বাড়ি বাংলাদেশ এর শরীয়তপুর জেলার শরীয়তপুর সদর উপজেলার রুদ্রকর ইউনিয়নে অবস্থিত এক ঐতিহাসিক জমিদার বাড়ি। স্থানীয়দের কাছে এই বাড়িটি বাবুর বাড়ি নামে পরিচিত। এই জমিদার বংশের তৈরি করা রুদ্রকর মঠ সকলের কাছে অধিক পরিচিত।
20231101.bn_772826_1
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B0%E0%A7%81%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%95%E0%A6%B0%20%E0%A6%9C%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%B0%20%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A1%E0%A6%BC%E0%A6%BF
রুদ্রকর জমিদার বাড়ি
প্রায় বারো থেকে তেরো একর জমির উপর জমিদার নীলমণী চক্রবর্তী এই জমিদার বাড়িটি প্রতিষ্ঠিত করেন। কবে নাগাদ এই বাড়িটি প্রতিষ্ঠিত করেন তার কোনো সঠিক তথ্য জানা যায়নি। তবে বাড়ির প্রবেশদ্বারের ফটকের উপর বাড়িটি সংস্কারের সাল হিসেবে বাংলা ১৮৯৮ সালের কথা উল্লেখ রয়েছে। এই জমিদার বংশধররা ধর্মীয় উপাসনার জন্য একটি মন্দির তৈরি করেন যা এখন রুদ্রকর মঠ নামে পরিচিত। এটি তৈরি করেছিলেন জমিদার গুরুচরণ চক্রবর্তী। এই জমিদার বাড়িতে আট থেকে দশটি বিশাল অট্টালিকা ছিল। যেগুলো মূল বাড়ি থেকে মঠ পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। এছাড়াও ছিল দরবার কক্ষ, গুদাম ঘর, রন্ধনশালা ও নৃত্যশালা। বাবুবাড়িতে মাটির নিচে কয়েকটি গোপন কুঠরি ছিল, যেগুলো মাটিধসে বিলীন হয়ে গেছে। স্থানীয়দের ধারণা, মাটি খুঁড়লে এখনো সেই গোপন কুঠরির অস্তিত্ব পাওয়া যেতে পারে।
20231101.bn_772826_2
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B0%E0%A7%81%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%95%E0%A6%B0%20%E0%A6%9C%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%B0%20%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A1%E0%A6%BC%E0%A6%BF
রুদ্রকর জমিদার বাড়ি
এই জমিদার বাড়িতে আট থেকে দশটি বিশাল অট্টালিকা ছিল। যেগুলো মূল বাড়ি থেকে মঠ পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। এছাড়াও ছিল দরবার কক্ষ, গুদাম ঘর, রন্ধনশালা ও নৃত্যশালা।