_id
stringlengths 17
23
| url
stringlengths 31
795
| title
stringlengths 1
93
| text
stringlengths 100
11.9k
|
---|---|---|---|
20231101.bn_772828_0 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B0%E0%A7%81%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%95%E0%A6%B0%20%E0%A6%AE%E0%A6%A0 | রুদ্রকর মঠ | রুদ্রকর মঠ হল বাংলাদেশের শরীয়তপুর জেলায় অবস্থিত একমাত্র মঠ। প্রায় দেড়শত বছরের পুরাতন প্রাচীন এই মঠ শরীয়তপুর জেলার শরীয়তপুর সদর উপজেলার রুদ্রকর ইউনিয়নে অবস্থিত। যা রুদ্রকর জমিদার বাড়ির জমিদাররা তৈরি করেছিলেন। |
20231101.bn_772828_1 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B0%E0%A7%81%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%95%E0%A6%B0%20%E0%A6%AE%E0%A6%A0 | রুদ্রকর মঠ | প্রায় দেড়শত বছর আগে রুদ্রকর জমিদার বাড়ির জমিদার গুরুচরণ চক্রবর্তী এই মঠটি তৈরি করেন। তিনি তার জমিদারী আমলে ধীরে ধীরে মঠটি তৈরি করেন। আনুমানিক ১৩০৫ - ১৩১৫ বঙ্গাব্দেরর মধ্যে মঠটি তৈরি করা হয়। কথিত আছে মা রাশমনি দেবীর সমাধীকে অমর করে রাখার জন্য নাকি এই মঠটি তৈরি করা হয়েছিল। |
20231101.bn_772828_2 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B0%E0%A7%81%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%95%E0%A6%B0%20%E0%A6%AE%E0%A6%A0 | রুদ্রকর মঠ | মঠটিতে নিচের অংশে বড় একটি শ্মশান মন্দির ও মন্দিরটির মূল উপাসনালয় কক্ষের সঙ্গে থাকা বারান্দার চার কোণায় চারটি ছোট মন্দির (মঠ)। এর মধ্যে বড় মন্দিরটির উচ্চতা প্রায় ২০ মিটার। চার কোণায় চারটি ছোট মন্দির যথাক্রমে প্রায় ১.৯৫ মিটার। এ ছাড়া তৃতীয় তলায় মূল টাওয়ারের গায়ে চারপাশে চারটি দেবী মূর্তির অলংকরণ রয়েছে। উপরের অংশ প্যাগোডার মত তৈরি করা হয়েছিল। |
20231101.bn_772828_3 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B0%E0%A7%81%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%95%E0%A6%B0%20%E0%A6%AE%E0%A6%A0 | রুদ্রকর মঠ | পরিচর্যা না থাকাতে মঠটি এখন প্রায় জীর্ণশীর্ণ অবস্থায় রয়েছে। আনন্দের বিষয় হচ্ছে মঠের উপরিভাগে গর্তের মধ্যে টিয়া পাখির বসবাস রয়েছে। যাদের কিচিরমিচিরে নিস্তব্ধ এই জায়গাটির প্রাণ আছে বলে মনে হয়। এখনো প্রতিবছর এখানে সাড়ম্বরে পূজা ও কীর্তনের অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। |
20231101.bn_772874_0 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%86%E0%A6%A5%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%BE%20%E0%A6%B6%E0%A7%87%E0%A6%A0%E0%A6%BF | আথিয়া শেঠি | আথিয়া শেঠি (জন্ম ৫ নভেম্বর ১৯৯২) একজন ভারতীয় অভিনেত্রী যিনি বলিউড চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। তিনি প্রণয়ধর্মী সহিংসতাবাদী চলচ্চিত্র "হিরো (২০১৫-এর চলচ্চিত্র)" এর মাধ্যমে চলচ্চিত্রে আত্মপ্রকাশ করেন, যার জন্যে তিনি দাদাসাহেব ফালকে এক্সিলেন্স এ্যাওয়ার্ড লাভ করেন এবং ফিল্মফেয়ার বেস্ট ফিমেল ডেবিউ এওয়ার্ড-এর জন্য মনোনীত হোন। |
20231101.bn_772874_1 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%86%E0%A6%A5%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%BE%20%E0%A6%B6%E0%A7%87%E0%A6%A0%E0%A6%BF | আথিয়া শেঠি | শেঠি ৫ নভেম্বর ১৯৯২ সালে মুম্বাইএ অভিনেতা সুনীল শেঠি এবং পরিচালক মানা শেঠির ঘরে জন্মগ্রহণ করেন। যেখানে তার বাবা বান্ত কমিউনিটির সাথে জড়িত, অন্যদিকে তার মা পাঞ্জাবী হিন্দু এবং গুজরাটি মুসলমান বংশের। তার একজন ছোট ভাই আছে, যার নাম আহান শেঠি। |
20231101.bn_772874_2 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%86%E0%A6%A5%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%BE%20%E0%A6%B6%E0%A7%87%E0%A6%A0%E0%A6%BF | আথিয়া শেঠি | শেঠি বিখ্যাত ক্যাথারডাল এবং জন কোনোন স্কুলে এবং পরে আমেরিকান স্কুল অফ বোম্বেতে পড়াশোনা করেছেন। যেখানে তার সাথে একই স্কুলে পড়াশোনা করেছেন শ্রদ্ধা কাপুর এবং টাইগার শ্রফ। ১৮ বছর বয়সে তিনি অভিনয় এর উপর পড়াশোনা করার জন্য নিউ ইউর্ক ফ্লিম একাডেমীতে ভর্তি হোন। |
20231101.bn_772874_3 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%86%E0%A6%A5%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%BE%20%E0%A6%B6%E0%A7%87%E0%A6%A0%E0%A6%BF | আথিয়া শেঠি | তিনি ২০১৫ সালে রোমান্টিক একশন সিনেমা "হিরো"-এর মাধ্যমে চলচ্চিত্রে আত্মপ্রকাশ করেন। সিনেমাটি সালমান খান প্রযোজনা করেন এবং নিখিল আদবানি পরিচালনা করেন, সিনেমাটির সর্বমোট আয় । শেঠি রাধা মাথুর নামের একজন মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করেন। রাধা চরিত্রে অভিনয় এর জন্য তিনি ফিল্মফেয়ার বেস্ট ফিমেল ডেবিউ এওয়ার্ড এর জন্য মনোনীত হোন। ভারত এর লিডিং ওয়েভসাইট বলিউড হাঙ্গামা, শেঠি সমন্ধে বলে যে "শেঠির আরো সময় দরকার,তার অভিনয় দক্ষতা বাড়ানোর জন্য"। আত্মপ্রকাশ এর পর তিনি ইন্ডিয়ান ফ্র্যান্সাইসিস অফ মেবেলিন এর ব্র্যান্ড এম্বাসেডর নির্বাচিত হোন। তিনি ভিবিন্ন নামি ম্যাগাজিম এর কভারস করেছেন,যেমন কম্পোজিশন, ভার্ভে, হার্পারস বাজার এবং আরো অনেক। |
20231101.bn_772874_4 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%86%E0%A6%A5%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%BE%20%E0%A6%B6%E0%A7%87%E0%A6%A0%E0%A6%BF | আথিয়া শেঠি | ২০১৭ সালে তিনি আনিস বাজমির মুবারকান সিনেমায় অনিল কাপুর, অর্জুন কাপুর এবং ইলিয়ানা ডি'ক্রুজ এর বিপক্ষে অভিনয় করেছেন। সিনেমাটি বক্স অফিসে সাফল্য পায় এবং ৯৩.৫৯ কোটি রুপি আয় করে। আথিয়া সিনেমাটির জন্য প্রশংসা লাভ করেন। ২০১৮ সালে তিনি "মতিচুর চাকনাচুর" সিনেমায় নওয়াজুদ্দীন সিদ্দিকীর বিপরীতে অভিনয় করেন। তিনি ফুটবলার আফসান আশিক এর জীবনিভিত্তিক সিনেমার জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। |
20231101.bn_772877_0 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%87%E0%A6%B8%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%87%20%E0%A6%B8%E0%A6%AC%E0%A7%81%E0%A6%9C%20%E0%A6%B0%E0%A6%99 | ইসলামে সবুজ রঙ | সবুজ রঙ () ইসলামের বেশ কিছু ঐতিহ্যের সাথে সম্পর্কিত এবং ইসলামে এর বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। দ্বাদশ শতাব্দীতে শিয়া ফাতিমীরা সবুজ রঙকে রাজবংশের প্রতীক হিসাবে বেছে নিয়েছিল। এতে তারা সুন্নি আব্বাসীদের ব্যবহৃত কালো রঙের বিরোধীতা প্রকাশ করে। তাদের পরেও শিয়া আইকনোগ্রাফিতে সবুজ রঙের জনপ্রিয় রয়ে গিয়েছে। তবে সবুজ কেবল শিয়াদের প্রতীক নয়; বরং এটি ইসলামে তাৎপর্যপূণ রঙ। তাই সুন্নি দেশেও এর ব্যাপক ব্যবহার দেখা যায়। যেমন: সৌদি আরব, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের পতাকায় সবুজ রঙ আছে। |
20231101.bn_772877_1 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%87%E0%A6%B8%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%87%20%E0%A6%B8%E0%A6%AC%E0%A7%81%E0%A6%9C%20%E0%A6%B0%E0%A6%99 | ইসলামে সবুজ রঙ | আল-খিদর বা আল খিযির (সবুজ ব্যক্তি) হলেন এমন একজন কুরআনি ব্যক্তিত্ব, যার সাথে সাক্ষাৎ করার জন্য মূসা আ. সমুদ্র ভ্রমণ করেছিলেন। সুলতান আবদুল হামিদ দ্বিতীয় (১৮৭৬-১৯০৯) এর আদেশে ঐতিহ্যবাহী স্থান মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সমাধির ওপর সবুুজ গুম্বজ ব্যবহার করা হয়েছে। |
20231101.bn_772877_2 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%87%E0%A6%B8%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%87%20%E0%A6%B8%E0%A6%AC%E0%A7%81%E0%A6%9C%20%E0%A6%B0%E0%A6%99 | ইসলামে সবুজ রঙ | ঐতিহাসিক শিয়া ফাতিমীয় খিলাফতের পতাকা ও ব্যানারের রঙ হিসাবে সবুজ ব্যবহার করা হয়েছিল। সবুজ রঙে তাদের ব্যবহৃত পতাকা ১১৭১ অবধি ছিল। |
20231101.bn_772877_3 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%87%E0%A6%B8%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%87%20%E0%A6%B8%E0%A6%AC%E0%A7%81%E0%A6%9C%20%E0%A6%B0%E0%A6%99 | ইসলামে সবুজ রঙ | আবদুল-মতিন, ইব্রাহিম। "সবুজ দ্বীন: ইসলাম গ্রহকে রক্ষা করার বিষয়ে যা শিক্ষা দেয়।" সবুজ দ্বীন: ইসলাম গ্রহ রক্ষা সম্পর্কে কি শিক্ষা দেয়, কিউব পাবলিশিং, ২০১২। |
20231101.bn_772878_0 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B8%E0%A6%B2%20%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A7%8B | সল বেলো | সল বেলো (সলোমন বেলো ১৯১৫-২০০৫) একজন কানাডীয়-আমেরিকান লেখক। সাহিত্যকর্মের জন্য তিনি পুলিৎজার, নোবেল এবং ন্যাশনাল মেডেল অব আর্টস অর্জন করেন। তিনিই একমাত্র লেখক, যিনি ন্যাশনাল বুক এওয়ার্ড ফর ফিকশান তিন তিনবার অর্জন করেন এবং যিনি কিনা আমেরিকান বর্ণমালায় অনবদ্য অবদানের জন্য ১৯৯০ সালে ন্যাশনাল বুক ফাউন্ডেশান থেকে আজীবন সম্মাননা পান । |
20231101.bn_772878_1 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B8%E0%A6%B2%20%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A7%8B | সল বেলো | সুইডিশ নোবেল কমিটির মতে, ''বেলোর লেখায় সমৃদ্ধ পিকারেস্ক উপন্যাসের মিশ্রণ প্রকাশ পেয়েছিলো, যার সাথে ছিলো দার্শনিক কথোপোকথনের মধ্য দিয়ে আমাদের সংস্কৃতি, বিনোদনমূলক এডভেঞ্চার, কঠোর ও মর্মান্তিক অংশ গুলোর সূক্ষ্ম বিশ্লেষণ। আর এ সব-ই গড়ে উঠে একজন মজার কথক এর অন্তর্দৃষ্টিসম্পন্ন বর্ণনার মধ্য দিয়ে যা আমাদের অভিনয়ের দিকে ধাবিত করে অথবা অভিনয় থেকে দূরে রাখে- আর তা আমাদের বয়সের সংকট বলা যেতে পারে''। তার উল্লেখযোগ্য কাজের মধ্য রয়েছে- দ্য এডভেঞ্চার অব অগি মার্চ, হেণ্ডারসন দ্য রেইন কিং, হেরযগ, মি. স্যামলার’স প্ল্যানেট, সী'জ দ্য ডে, হামবোল্ড’স গিফট এবং রেবেলস্টেইন। তাকে বিশ শতকের সবচেয়ে সেরা লেখক বলে বিবেচনা করা হয়। |
20231101.bn_772878_2 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B8%E0%A6%B2%20%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A7%8B | সল বেলো | সল বেলো নামে পরিচিত হলেও তার পারিবারিক নাম ছিলো সলোমন বেলো। মা লেস্কা এবং বাবা আব্রাহাম বেলোর রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গ থেকে কানাডার কুইবেক শহরের লেশিন নামক স্থানে স্থানান্তরের প্রায় দুই বছর পর তিনি জন্মগ্রহণ করেন। বড় তিন ভাই-বোনের মধ্যে বড় বোন জেল্ডা জন্মগ্রহণ করেন ১৯০৭ সালে, ভাই ময়েশে (পরবর্তীতে যার নাম হয় মরিচ) ১৯০৮ সালে এবং শ্যামুয়েল জন্মগ্রহণ করেন ১৯১১ সালে। বেলোর পরিবার ছিলো লিথুনীয় ইহুদী, তার বাবা ভিলনিয়াসে জন্মগ্রহণ করেন। বেলো জুলাইতে জন্মগ্রহণ করলেও মে মাসে তিনি তার জন্মবার্ষিকী উদ্যাপন করতেন। |
20231101.bn_772878_3 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B8%E0%A6%B2%20%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A7%8B | সল বেলো | আট বছর বয়সের শ্বাসনালীর প্রদাহ জনিত অসুস্থতার সময়টা তাকে আত্ম-নির্ভরশীল হতে শেখায়, এমনকি এই সময়টাই বই পড়ার প্রতি তার তীব্র ক্ষুধা মেটানোর সুযোগ এনে দেয়। এ সময় হ্যারিয়েট বিচার স্টো’র আংকেল টম’স কেবিন পড়ে তিনি লেখক হবার স্বপ্ন দেখেন। |
20231101.bn_772878_4 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B8%E0%A6%B2%20%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A7%8B | সল বেলো | সল বেলোর পরিবার যখন শিকাগোর পশ্চিমে হাম্বলডট পার্কে স্থানান্তরিত হয়, তার বয়স তখন মাত্র নয় বছর। এই শহরই তার অধিকাংশ উপন্যাসের পটভূমি তৈরি করেছিলো। এখানে তার বাবা পেঁয়াজের ব্যবসা শুরু করেন, পাশাপাশি তিনি একটা বেকারীতে কয়লা সরবরাহের কাজ করতেন। সতেরো বছর বয়সে সল বেলো তার মাকে হারান। সলের মা ছিলেন অত্যন্ত ধার্মিক এবং তিনি চাইতেন সল একজন ইহুদী পণ্ডিত হউক কিংবা একজন কনসার্ট বেহালা বাদক। সল এই চাওয়ার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন- পরবর্তীতে তিনি তার ধর্মীয় চেতনায় এভাবে বেড়ে ওঠার নাম দেন সাফোকেটিং অর্থোডক্সি এবং তরুণ বয়সেই লেখালেখি শুরু করেন। বেলো উইলিয়াম শেকসপিয়র এবং রাশিয়ার সেরা সাহিত্যিকদের লেখা পড়ে বেড়ে ওঠেন। শিকাগোতে তিনি এন্থ্রোপোসোফিক্যাল সোসাইটি অব শিকাগোর সাথে এন্থ্রোপোসোফিক্যাল স্টাডিতে যোগ দেন। বেলো যখন শিকাগোর টিউলি হাই স্কুলে ছিলেন তখন তার সাথে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে সে সময়কার আরেকজন লেখক আইজ্যাক রোজেনফেল্ডের। পরবর্তীতে তার এই বন্ধুর চরিত্রকে ভিত্তি করেই তিনি ১৯৫৯ সালে হেন্ডারসন দ্য রেইন কিং’র কিং-ডাহফু চরিত্র সৃষ্টি করেন। |
20231101.bn_772878_5 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B8%E0%A6%B2%20%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A7%8B | সল বেলো | বেলো ইউনিভার্সিটি অব শিকাগোতে পড়াশুনা শুরু করলেও তিনি নর্থ-ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটিতে চলে যান। মূলত সাহিত্য বিষয়ে পড়তে চাইলেও তিনি ইংরেজি বিভাগে ইহুদী-বিদ্বেষী মনোভাব বুঝতে পারেন।তাই সাহিত্যের পরিবর্তে তিনি নৃতত্ত্ব ও সমাজবিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক সম্পন্ন করেন। নৃতত্ত্ব বিষয়ে পড়াশুনা করার ফলে তার লেখায় ও লেখার ধরনে নৃতত্ত্বের প্রভাব পড়ে। তার বিভিন্ন কাজে নৃতত্ত্ব বিষয়ক জ্ঞানের উল্লেখ পাওয়া যায়। কাছের বন্ধু এলান ব্লুমকে নিয়ে করা বেলোর বর্ণনাকে কে আরো স্পষ্টভাবে বর্ণনা করতে গিয়ে জন পোডরের্টজ বলেন- বেলো এবং ব্লুম দুজনই বই এবং আইডিয়াকে ঠিক সেভাবেই গ্রহণ করতো, শ্বাস-প্রশ্বাসের সময় আমরা যেমন বাতাস গ্রহণ করি। |
20231101.bn_772878_6 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B8%E0%A6%B2%20%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A7%8B | সল বেলো | ১৯৩০ এর দশকে বেলো ওয়ার্কস প্রোগ্রেস এডমিনিস্ট্রেশান রাইটার্স প্রোজেক্টর শিকাগো শাখায় যুক্ত ছিলেন, যেখানে রিচার্ড রাইট এবং নেলসন এলেগ্রেন এর মতো শিকাগোর ভবিষ্যত উদীয়মান সাহিত্যিকগণও সেখানে ছিলেন।তাদের অনেকেই ছিলেন উগ্রবাদী এবং যুক্ত্ররাষ্ট্রের কমিউনিস্ট পার্টীর সদস্য। অন্যদিকে বেলো ছিলেন ট্রটস্কি চেতনা ধারার। যেহেতু স্টালীনীয় ধারার লেখকের সংখ্যা সেখানে বেশি ছিলো- তাই বেলো সব সময়ই বিদ্রুপের শিকার হতো। |
20231101.bn_772878_7 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B8%E0%A6%B2%20%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A7%8B | সল বেলো | সেনাবাহিনীতে নাম লেখানোর চেষ্টা করতে গিয়ে বেলো আবিষ্কার করেন ছোটবেলা থেকে তিনি এতোদিন যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে বাস করছেন এবং এরপর ১৯৪১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের বৈধ নাগরিকত্ব পান। মার্চেন্ট মেরিন বা নেভির সদস্যরা যুদ্ধের সময় নৌ পথে সৈনিক এবং প্রয়োজনীয় অস্ত্র ও মালামাল সরবরাহ করে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় বেলো মার্চেন্ট মেরিন এ যোগ দেন। এখানে কর্তব্যপালনরত সময়ে ১৯৪৪ সালে তিনি তার প্রথম উপন্যাস ড্যাংলিং ম্যান রচনা করেন। |
20231101.bn_772878_8 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B8%E0%A6%B2%20%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A7%8B | সল বেলো | ১৯৪৬ সাল থেকে তিনি ইউনিভার্সিটি অব মিনেসোটায় শিক্ষকতা করেন। ১৯৪৭ সালের শুরুর দিকে তার দ্য ভিক্টিম উপন্যাসের প্রচারনার জন্য ৫৮ অরলিন স্ট্রীটের বিশাল একটি পুরনো বাড়িতে গিয়ে উঠেন। |
20231101.bn_772878_9 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B8%E0%A6%B2%20%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A7%8B | সল বেলো | ১৯৪৮ সালে গাগেনহিম ফেলোশিপ অর্জন করেন যা তাকে প্যারিস যাওয়ার সুযোগ এনে দেয়। ১৯৫৩ সালে প্যারিসে তিনি দ্য এডভেঞ্চার অব অগি মার্চ উপন্যাস রচনা শুরু করেন।সমালোচকরা তার পিকারেস্ক উপন্যাসের সাথে সতেরো শতকের স্প্যানিশ ক্ল্যাসিক ডোন কিক্সোট এর সাদৃশ্য খুজে পান। |
20231101.bn_772878_10 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B8%E0%A6%B2%20%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A7%8B | সল বেলো | কথাবার্তার ভিতর দিয়ে কাহিনী এগিয়ে চললেও দ্য এডভেঞ্চার অব অগি মার্চর দার্শনিক ঢঙ্গের জন্য এটি ঠিকই বেলোকে একজন প্রধান লেখক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে। |
20231101.bn_772878_11 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B8%E0%A6%B2%20%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A7%8B | সল বেলো | ১৯৫৮ সালে বেলো আবার ইউনিভার্সিটি অব মিনেসোটার শিক্ষকতায় ফিরে আসেন। এসময় তিনি এবং তার স্ত্রী সাশা মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক পল মিহ্ল এর কাছ থেকে মনো-চিকিৎসা গ্রহণ করেন। ১৯৬১ সালের স্প্রিং টার্মে তিনি ইউনিভার্সিটি অব পুয়ের্তো রিকো তে সৃজনশীল লেখা বিষয়ে পাঠদান করেন। উইলিয়াম কেনেডি ছিলো তার অন্যতম একজন ছাত্র, যিনি বেলোর কাছ থেকেই কল্পকাহিনী লেখার অনুপ্রেরণা পেয়েছিলেন। |
20231101.bn_772878_12 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B8%E0%A6%B2%20%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A7%8B | সল বেলো | বেলো কয়েক বছর নিউ ইয়র্কে থেকে শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়'র কমিটি অন সোশ্যাল থট এর একজন অধ্যাপক হিসেবে শিকাগোতে ফিরে আসেন ১৯৬২ সালে । এই কমিটির মূল উদ্দেশ্য ছিলো মেধাবী গ্র্যাজুয়েটদেরকে অধ্যাপকদের খুব কাছে থেকে বহুমুখী কাজ করার ও শেখার সুযোগ করে দেয়া। বেলো তার প্রিয় বন্ধু দার্শনিক এলান ব্লুমের সাথে এখানে ৩০ বছরেরও বেশি সময় শিক্ষকতা করেন। |
20231101.bn_772878_13 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B8%E0%A6%B2%20%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A7%8B | সল বেলো | বেলোর শিকাগোর ফিরে আসার পিছনে কিছু কারণ ছিলো এবং তিনি সেখানে তার তৃতীয় স্ত্রী সুশান গ্লাসম্যানকে নিয়ে হাইডপার্কের কাছাকাছি জায়গায় উঠেন। শিকাগো অমার্জিত,কুরুচিপূর্ণ জায়গা হলেও তার কাছে এ শহরকে প্রাণবন্ত মনে হয়েছিলো এবং তিনি মনে করতেন নিউ ইয়র্কের চাইতে আমেরিকাকে প্রতিনিধিত্ব করতে শিকাগোই বরং বেশি যোগ্য। তিনি পুরনো স্কুল বন্ধু এবং সমাজের বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষের সাথে সম্পর্ক বজায় রাখতেন। ১৯৮২ সালের এক অনুসন্ধানে দেখা যায়, বেলোর এলাকাটি ছিলো শিকাগোর অপরাধ জগতের মূলকেন্দ্র, বেলো লেখালেখির জন্য এমন জায়গাতে বাস করাকে উপযুক্ত মনে করতেন এবং নিজের ‘বন্দুকটির সাথে লেগে থাকেন’। |
20231101.bn_772878_14 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B8%E0%A6%B2%20%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A7%8B | সল বেলো | ১৯৬৪ সালে হেরযগ উপন্যাস এর মাধ্যমে সেরা বিক্রির তালিকায় অন্তর্ভূক্তি পায়। বেলো একজন মধ্যবয়স্ক, সমস্যায় জর্জরিত অধ্যাপক চরিত্রকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা কাহিনীর এই সেরেব্রাল উপন্যাসের এতো ব্যাপক বিক্রি দেখে অবাক হন। বেলো আবারো মানসিক অস্থিরতা আর মেধাবীদের সাথে এর সম্পর্ক নিরুপণে মনোযোগ দেন এবং রচনা করেন হামবোল্ড’স গিফট। বেলো এখানে তার প্রয়াত বন্ধু, সম-সাময়িক ও প্রতিদ্বন্দ্বী সাহিত্যিক, মেধাবী কিন্তু মানসিক বিপর্যয়গ্রস্ত ডেলমোর শোয়ার্ কে ভিত্তি করে উপন্যাসের মূল চরিত্র ভন হাম্বল্ড ফ্লেইশার সৃষ্টি করেন।তিনি ১৯৬৯ সালে আমেরিকান একাডেমি অব আর্টস এন্ড সায়েন্স এর ফেলো নির্বাচিত হন। |
20231101.bn_772878_15 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B8%E0%A6%B2%20%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A7%8B | সল বেলো | হাম্বল্ডট’স গিফট এর সাফল্যের জন্য বেলোকে ১৯৭৬ সালে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত করা হয়।সুইডেনের স্টকহোমের শ্রোতাদের উদ্দেশ্যে রাখা বক্তৃতায় সেদিন বেলো লেখক সমাজকে মানসিক স্থবিরতা ভেংগে জেগে ওঠার ও সভ্যতার বিকাশ সাধনের আহবান জানান। |
20231101.bn_772878_16 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B8%E0%A6%B2%20%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A7%8B | সল বেলো | তার পরের বছর ন্যাশনাল এন্ডৌমেন্ট ফর দ্য হিউম্যানিটি তাকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র্যের সর্বোচ্চ সম্মানজনক জেফারসন লেকচারের জন্য মনোনীত করেন। মানবতায় অবদানকারীদেরকে এ মনোনোয়ন দেয়া হয়। তার লেকচারের শিরোনাম ছিলো-‘লেখক এবং তার দেশ, পরস্পরের দিকে তাকিয়ে’। |
20231101.bn_772878_17 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B8%E0%A6%B2%20%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A7%8B | সল বেলো | ১৯৮১ সালের ডিসেম্বর থেকে ১৯৮২ সালের মার্চ পর্যন্ত ইউনিভার্সিটি অব ভিক্টোরিয়ায় ভিজিটিং ল্যান্সডাউন স্কলার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সেখানে তিনি রাইটার ইন রেসিডেন্স উপাধি লাভ করেন। |
20231101.bn_772878_18 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B8%E0%A6%B2%20%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A7%8B | সল বেলো | বেলো জীবনভর পৃথিবীর নানা প্রান্তে ঘুরে বেড়িয়েছেন, ইউরোপে যেতেন সবচেয়ে বেশি। এমনও হয়েছে- বছরে দুইবারও ইউরোপ গিয়েছিলেন। তরুণ বয়সে বেলো একদিন লিয়ন ট্রটস্কির সাথে দেখা করতে মেক্সিকোতে যান। কিন্তু রাশিয়ান নির্বাসিন বিপ্লবীর হাতে তাদের দেখা হওয়ার আগের দিন ই ট্রটস্কি খুন হন। |
20231101.bn_772878_19 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B8%E0%A6%B2%20%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A7%8B | সল বেলো | বেলো ব্যাপকভাবে সামাজিক যোগাযোগ রক্ষা করতেন এবং তার সামাজিক সম্পর্কগুলোর ক্ষেত্রে বেশ বৈচিত্র থাকতো। আমেরিকান ঔপন্যাসিক এবং সাহিত্য সমালোচক রালফ এলিজন তার কাছের বন্ধু ছিলেন। তার অন্যান্য বন্ধুদের মধ্যে আছেন শিকাগো ডেইলি নিউজ পত্রিকার সাংবাদিক সিডনি জে. হ্যারিস এবং আমেরিকান কবি জন বেরিম্যান। |
20231101.bn_772878_20 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B8%E0%A6%B2%20%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A7%8B | সল বেলো | বেলোর প্রথম উপন্যাসগুলোর বিক্রি তেমন ভালো না হলেও হারযগ’র বিক্রির সাথে সাথে সেগুলোর বিক্রিও বেড়েছিলো। বেলো তার বৃদ্ধ বয়সেও শিক্ষকতা চালিয়ে যান। এর মধ্য দিয়ে তিনি মানুষের পারস্পরিক সম্পর্ক ও ধ্যান-ধারণার আদান-প্রদানের ব্যাপারগুলো বেশ উপভোগ করতেন। তিনি ইয়েল ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অব মিনেসোটা, নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটি', প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটি, 'ইউনিভার্সিটি অব পুয়ের্তো রিকো, ইউনিভার্সিটি অব শিকাগো, বার্ড কলেজ এবং বোস্টন ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষকতা করেন। বোস্টনে তিনি ইংরেজ ঔপন্যাসিক, প্রবন্ধকার এবং সাহিত্য সমালোচক জেমস উডের সাথে শিক্ষকতা করেন, সেসময় তার সাথে সী’জ দ্য ডে নিয়ে আলোচনা করতেন। বোস্টনে যোগদানের জন্য তিনি ১৯৯৩ সালে শিকাগো থেকে ম্যাসাচুসেটের ব্রুকলিনে চলে আসেন আর এখানেই ২০০৫ সালের ৫ এপ্রিল ৮৯ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তাকে যুক্তরাষ্ট্রের ব্রাতেলেব্রোতে অবস্থিত শহী-হারেম নামক ইহুদী সমাধিক্ষেত্রে সমাধিস্থ করা হয়। |
20231101.bn_772878_21 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B8%E0%A6%B2%20%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A7%8B | সল বেলো | প্রচুর পড়াশুনার পাশাপাশি তিনি ভায়োলিনও বাজিয়েছেন আবার খেলাধুলার খোজ-খবরও রাখতেন। কাজ ছিলো তার জীবনের ধ্রুব সত্য। এরপরো মাঝেমাঝে তিনি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান গুলোকে হতাশ করে উপন্যাস লেখা প্রায় থামিয়ে দিতেন। |
20231101.bn_772878_22 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B8%E0%A6%B2%20%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A7%8B | সল বেলো | বেলো ৫ বার বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। পঞ্চমবার ছাড়া প্রত্যকবারই বিবাহ-বিচ্ছেদ ঘটে। প্রথম স্ত্রীর পুত্র গ্রেগ বেলো একজন সাইকোথেরাপিস্ট। গ্রেগ তার বাবার মৃত্যুর প্রায় এক যুগ পরে ২০১৩ সালে সল বেলো’স হার্ট: আ সন্স মেমোয়ের প্রকাশ করেন। দ্বিতীয় স্ত্রীর পুত্র এডাম এর সত্য কাহিনী ভিত্তিক ইন প্রেইজ অব নেপোটিজম প্রকাশ পায় ২০০৩ সালে। ২০০০ সালে যখন তার বয়স ৮৪ বছর, পঞ্চম স্ত্রী ফ্রীডম্যান তার চতুর্থ সন্তান ও প্রথম কণ্যার জন্ম দেন। |
20231101.bn_772878_23 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B8%E0%A6%B2%20%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A7%8B | সল বেলো | বেলোর লেখা আধুনিক সভ্যতার বিশৃংখলার কথা বলে, বলে- মানুষের দুর্বলতা কাটিয়ে উঠার ক্ষমতার কথা এবং মানুষের শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের কথা। বেলো আধুনিক সভ্যতার ভয়ংকর কিছু সমস্যা, এদের উন্মাদনা (উন্মত্ততা) ও বিষয়াসক্তি তৈরির ক্ষমতা এবং জ্ঞানকে ভুল দিকে প্রবাহিত করার সম্ভাবনা দেখেছেন। তার রচিত কল্পকাহিনীর প্রধান চরিত্রগুলোর এমন বৈশিষ্ট্যসূচক ক্ষমতা থাকে, যা তাদেরকে সমাজের নেতিবাচক শক্তির বিরুদ্ধে দাড়াতে সাহায্য করে। প্রায়ই এইসব চরিত্রে ফুটিয়ে তোলা হয় একজন ইহুদিকে এবং তাদের মধ্যে বিচ্ছিন্নতাবাদী চেতনা কাজ করে। |
20231101.bn_772878_24 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B8%E0%A6%B2%20%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A7%8B | সল বেলো | যদিও বেলো ইহুদী লেখক নন, তার লেখায় সাধারনত ইহুদীদের জীবন ও পরিচয় প্রধান বিষয়বস্তু হিসেবে স্থান পায়। তার লেখায় আমেরিকাকে বেশ মর্যাদা দিতে দেখা যায়। আমেরিকার প্রতি তার মুগ্ধতার কথা স্বতন্ত্র ও স্বচ্ছন্দ লেখনিতে প্রকাশ পায়। |
20231101.bn_772878_25 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B8%E0%A6%B2%20%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A7%8B | সল বেলো | বেলোর প্রচুর কাজের সাথে এমনকি বেশ কিছু উক্তির সাথে মার্সেল প্রুস্ত্' ও হেনরি জেমস' এর কাজের সাদৃশ্য পাওয়া যায়। বেলোর রসিক ধাঁচের উপস্থাপনের ফলে লেখাগুলো বৈচিত্র পেয়েছে। বিভিন্ন ফিকশান বা কল্পনাধর্মী কাহিনীতে তিনি তার নিজের জীবনের বিভিন্ন অংশকেই তুলে ধরেছেন।তার সৃষ্ট অনেক চরিত্রের সাথে তার নিজের মিল পাওয়া যায়। |
20231101.bn_772878_26 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B8%E0%A6%B2%20%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A7%8B | সল বেলো | মার্টিন এমিস বেলোর প্রশংসা করতে গিয়ে বলেন- ''তিনি আমার দৃষ্টিতে আমেরিকার সর্বকালের সেরা লেখক। তিনি যেন প্রকৃতিরই উপহার। তিনি পূর্বের সব নিয়ম বদলে দিয়েছেন।'' তিনি আরো বলেন-''অন্য যে কারো চেয়ে তার বাক্য গুলো বেশি ভাবগাম্ভীর্যপূর্ণ। '' লিন্ডা গ্র্যান্ট'' বলেন- ''বেলো তার কল্পিত কাহিনীতে আমাদেরকে যা বলতে চেয়েছিলেন, তা কাহিনীকে গুরুত্ববহ করে ঘটনাকে জীবন্ত করে তোলে''। লিন্ডা গ্র্যান্ট মনে করেন বেলোর তেজ, জীবনীশক্তি, রসবোধ আর আবেগ সব সময়ই তার মানসিক দৃঢ়তার সাথে মানিয়ে যেত। গণমাধ্যমের একঘেয়ে প্রচারণা কিংবা ফেলা আসা ষাটের দশকের কটূক্তি কোন কিছুই তার চিন্তার ব্যাঘাত ঘটাতে পারেনি। |
20231101.bn_772878_27 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B8%E0%A6%B2%20%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A7%8B | সল বেলো | নিন্দুকেরা বেলোর লেখা প্রচলিত ও পুরণো ধাঁচের বলে মনে করেন। তারা বলেন বেলো যেন উনবিংশ শতাব্দীর ইউরোপিয়ান উপন্যাসগুলোকে সজীবরূপ দেয়ার চেষ্টা করছেন। একটি ব্যক্তিগত চিঠিতে ভ্লাদিমির নভোকোভ তাকে ‘দৈন্য মধ্যযুগী’ বলে আখ্যা দেন। সাংবাদিক এবং লেখক রন রোজেনবাম মনে করেন লেখক হিসেবে বেলোর ব্যর্থতাকে মোকাবেলা করতে পারা একমাত্র বই রেভেলস্টাইন। |
20231101.bn_772878_28 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B8%E0%A6%B2%20%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A7%8B | সল বেলো | বেলোর তীব্র সমালোচনা করে তিনি বলেন- ‘প্রাক-রেভেলস্টাইন বেলোতে আমার সমস্যা হলো- তিনি প্রায়শই দুটি সাংঘর্ষিক বিষয়কে জোরপূর্বক তার মতো করে এক করতে চাইতেন’। তিনি মনে করেন বেলোর লেখায় মনোমুগ্ধকর দার্শনিক চিন্তা কিংবা কল্পনা থাকে না। তিনি আরো বলেন ''তার গদ্যে পৃথিবী এবং প্রাণী দুটোই মূর্ত ও রূপান্তরিত হতে পারে।'' |
20231101.bn_772878_29 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B8%E0%A6%B2%20%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A7%8B | সল বেলো | ভি. এস. প্রিচেট বেলোর স্তুতি গেয়ে বলেছেন- তার কাজের মধ্যে ছোট উপন্যাসগুলো সেরা। তিনি বেলোর নোবেলা সী’জ দ্য ডে কে ‘ধূসর ছোট মাস্টারপিস’ বলে উল্লেখ করেন। |
20231101.bn_772878_30 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B8%E0%A6%B2%20%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A7%8B | সল বেলো | বয়স বাড়ার সাথে সাথে বেলো নিজেকে বাম রাজনীতি থেকে দূরে সরাতে শুরু করেন এবং রক্ষনশীলদের সাথে ঘনিষ্ঠ হন। তার বিরোধীদের মধ্যে রয়েছে- নারীবাদী চেতনা, ছাত্ররাজনীতি এবং উত্তর-আধুনিকতা। ইহুদী ও আফ্রিকান-আমেরিকান প্রসঙ্গে চলমান বিতর্ক বেলোকে বিদ্ধ করতো। |
20231101.bn_772878_31 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B8%E0%A6%B2%20%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A7%8B | সল বেলো | ন্যাশনাল পোর্টেট গ্যালারিতে সল বেলোর ৬ টি প্রতিকৃতি স্থান পেয়েছে। এরমধ্য রয়েছে আর্ভিং পেন এর তোলা একটি ছবি, সারাহ ইয়াস্টারের একটি চিত্র, সারা মিলার নির্মিত আবক্ষ মূর্তি এবং এডওয়ার্ড সোরেল ও আর্থার হার্শেল লিডয়ের আঁকা একটি করে চিত্র। সারা মিলার নির্মিত মূর্তির আরেকটি ১৯৯৩ সালে হ্যারল্ড ওয়াশিংটন লাইব্রেরী সেন্টারে স্থাপন করা হয়েছে। |
20231101.bn_772878_32 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B8%E0%A6%B2%20%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A7%8B | সল বেলো | ১৯৮৪-২০০০ সালের উপন্যাস: হোয়াট কাইন্ড অব ডে ডিড ইউ হ্যাভ?, মোর ডাই অব হার্টব্রেক, আ থেপ্ট, দ্য বেলারোজা কানেকশান, দ্য একচুয়াল, রেভেলস্টেইন (২০১৪) |
20231101.bn_772878_33 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B8%E0%A6%B2%20%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A7%8B | সল বেলো | ‘ইভেন লেটার’ এন্ড ‘দ্য আমেরিকান ঈগল’- মার্টিন এমিস, দ্য ওয়ার এগেইনেস্ট ক্লিশে (২০০১) আর সেলিব্রেটরি। |
20231101.bn_772878_34 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B8%E0%A6%B2%20%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A7%8B | সল বেলো | ২০০৪ সালে জেমস উডের দ্য ইরেসপন্সিবল সেলফ: অন লাফটার এন্ড দ্য নোভেল’ এ সল বেলো’জ কমিক স্টাইল দ্য হিরো ইন কনটেম্পোরারি আমেরিকান ফিকশান: দ্য ওয়ার্ক্স অব সল বেলো এন্ড ডন ডে ডিলো- স্টেফানি হল্ডরসন (২০০৭) |
20231101.bn_772880_0 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%A4%E0%A6%BF%20%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A6%BF | তিব্বতি সংস্কৃতি | তিব্বত তার ভৌগোলিক এবং জলবায়ু পরিস্থিতির বদৌলতে একটি স্বতন্ত্র সংস্কৃতির বিকাশ সাধন করেছে। প্রতিবেশী চীন, ভারত এবং নেপালের সংস্কৃতি দ্বারা প্রভাবিত হওয়ার পরেও, হিমালয় অঞ্চলের প্রত্যন্ততা এবং দুর্গমতা দেশটির স্থানীয় সাংস্কৃতিক প্রভাবকসমূহ সংরক্ষণ করেছে এবং এর স্বতন্ত্র সংস্কৃতির বিকাশকে উদ্দীপিত করেছে। |
20231101.bn_772880_1 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%A4%E0%A6%BF%20%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A6%BF | তিব্বতি সংস্কৃতি | সপ্তম শতাব্দীতে প্রতিষ্ঠার পর থেকে তিব্বতীয় বৌদ্ধধর্ম তিব্বতি সংস্কৃতিতে একটি বিশেষ শক্তিশালী প্রভাব রেখে চলেছে। মূলত ভারত, নেপাল এবং চীন থেকে আগত বৌদ্ধ ধর্মপ্রচারকরা ভারত ও চীনের চারুকলা ও সামাজিক রীতিনীতি এই ভূখণ্ডে চালু করেছিলেন। তিব্বতের শিল্প, সাহিত্য ও সংগীত সবগুলিতেই প্রচলিত বৌদ্ধ বিশ্বাসের উপাদান রয়েছে এবং বোন্ ধর্মের ঐতিহ্য ও স্থানীয় বিশ্বাস দ্বারা প্রভাবিত হয়ে এই ভূখণ্ডে বৌদ্ধ ধর্ম নিজেই একটি অনন্য রূপ গ্রহণ করেছে। |
20231101.bn_772880_2 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%A4%E0%A6%BF%20%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A6%BF | তিব্বতি সংস্কৃতি | জ্যোতির্বিজ্ঞান, জ্যোতিষশাস্ত্র এবং চিকিৎসা সম্পর্কিত বেশ কয়েকটি রচনা সংস্কৃত এবং শাস্ত্রীয় চীনা ভাষা থেকে অনুবাদ করা হয়েছিল। সভ্যতার সাধারণ সরঞ্জামগুলি চীন থেকে এসেছে, বহির্দেশে থেকে অর্জন করা বিভিন্ন জিনিস এবং দক্ষতার মধ্যে অন্যতম হল মাখন, পনির, যব দ্বারা প্রস্তুতকৃত বিয়ার, মৃৎশিল্প, জলকল এবং মাখন চা নামের জাতীয় পানীয় তৈরী করা। |
20231101.bn_772880_3 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%A4%E0%A6%BF%20%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A6%BF | তিব্বতি সংস্কৃতি | তিব্বতের নির্দিষ্ট ভৌগোলিক এবং জলবায়ু পরিস্থিতি যাজকবাদের উপর নির্ভরতা প্রণোদিত করার পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী অঞ্চলগুলি থেকে একটি পৃথক রান্নার বিকাশ সাধনকে উৎসাহিত করেছে যা এই উচ্চতায় মানুষের দেহের চাহিদার সাথে খাপ খায়। |
20231101.bn_772880_4 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%A4%E0%A6%BF%20%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A6%BF | তিব্বতি সংস্কৃতি | তিব্বতি ভাষা ৫ লক্ষ বর্গমাইল বিস্তৃতির তিব্বতি-জনবহুল অঞ্চলের সমস্ত অংশে বিভিন্ন উপভাষায় ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এর মধ্যে কয়েকটি উপভাষা চীনা ভাষার মতো সুরভুক্ত, আবার কিছু উপভাষা অ-সুরভুক্ত হয়ে থাকে। ঐতিহাসিকভাবে তিব্বতকে তিনটি সাংস্কৃতিক প্রদেশে বিভক্ত করা হয়েছিল যার নাম ইউ-সাং, খাম এবং আমদো ছিল। এই তিনটি প্রদেশের প্রত্যেকটিই তিব্বতি ভাষার নিজস্ব স্বতন্ত্র উপভাষা তৈরি করেছে। সর্বাধিক বিস্তৃত পরিসরে ব্যবহৃত উপভাষাটি হলো লাসা উপভাষা, যাকে প্রমিত তিব্বতি ভাষা নামেও ডাকা হয়, যা মধ্য তিব্বত এবং নির্বাসনে থাকা অধিকাংশ তিব্বতিদের দ্বারা ব্যবহৃত হয়ে থাকে। খাম-এ খামস তিব্বতীয় উপভাষা এবং আমদো-তে আমদো তিব্বতীয় উপভাষা ব্যবহৃত হয়। তিব্বতের উপভাষাগুলি তিব্বতীয় ভাষা সমূহের অন্তর্ভুক্ত যা তিব্বতী-বর্মণ ভাষা সমূহের বিশেষ একটি অংশ। আধুনিক তিব্বতি ভাষার উদ্ভব হয়েছে আদি তিব্বতি ভাষা এবং শাস্ত্রীয় তিব্বতি ভাষা থেকে, যা ছিল লিখন পদ্ধতির আদর্শরূপ। ভুটানের দাপ্তরিক ভাষা জংখাও তিব্বতি ভাষার সাথে নিবিড়ভাবে সম্পর্কযুক্ত। |
20231101.bn_772880_5 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%A4%E0%A6%BF%20%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A6%BF | তিব্বতি সংস্কৃতি | তিব্বতি শিল্পকলা নিগূঢ়ভাবে ধর্মীয় প্রকৃতির শিল্পকলা, বলা চলে একধরনের ধর্মীয় শিল্পকলা। তিব্বতের শিল্পকলা চিত্রাঙ্কন, দেয়ালচিত্র, প্রতিমা, আচারানুষ্ঠানিক বিভিন্ন জিনিস, মুদ্রা, গহনা এবং আসবাবপত্র সহ আরো বিভিন্ন ধারায় ব্যাপক আকারে বিস্তৃত হয়ে রয়েছে। |
20231101.bn_772880_6 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%A4%E0%A6%BF%20%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A6%BF | তিব্বতি সংস্কৃতি | খ্রিষ্টপূর্ব চতুর্থ শতকে বৌদ্ধ ধর্মের মহাযান শাখা একটি পৃথক শাস্ত্র-ধারা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে বোধিসত্ত্বদের ভূমিকার উপর গুরুত্ব আরোপ করার পাশাপাশি সে সকল করুনাময় ব্যক্তি ও বিষয়াদির উপর গুরুত্বারোপ করে যারা অন্যদেরকে সাহায্য করার লক্ষ্যে নিজেদের ব্যক্তিগত স্বাধীনতা ভুলে গিয়ে নির্বাণে আত্মনিয়োগ করেন। সূচনালগ্ন থেকেই বিভিন্ন বোধিসত্বগণ মূর্তিকলার বিষয়বস্তু ছিলেন। বৌদ্ধ ধর্মের মহাযান শাখার থেকে উদ্ভব হওয়ার দরুন তিব্বতি বৌদ্ধ ধর্ম এই ঐতিহ্য পরম্পরাগতভাবে লাভ করেছিল। |
20231101.bn_772880_7 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%A4%E0%A6%BF%20%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A6%BF | তিব্বতি সংস্কৃতি | তিব্বতি শিল্পকলায় উপস্থাপিত সাধারণ একজন বোধিসত্ত্ব হলেন অবলোকিতেশ্বর, যাকে প্রায়শই চার হাত বা হাজারো হাত সংবলিত দেবতা হিসেবে চিত্রিত করে দুই চোখের মাঝে কপালে অতিরিক্ত একটি চোখ সংযুক্ত করে সর্বদর্শনা করুনাময় দেবরূপে উপস্থাপন করা হয়; এটা বিশ্বাস করে যে, তিনি পূজারীদের সকল প্রার্থনা শোনেন। দালাই লামাকে উক্ত দেবতার পুনর্জন্ম লাভ করা প্রতিরূপ হিসেবে বিশ্বাস করা হয়। |
20231101.bn_772880_8 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%A4%E0%A6%BF%20%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A6%BF | তিব্বতি সংস্কৃতি | অধিকাংশ আদর্শ তিব্বতি বৌদ্ধ শিল্পকলা তান্ত্রিক চর্চার অংশ হিসেবে দেখতে পাওয়া যায়। তান্ত্রিক বৌদ্ধ ধর্মের একটি বিস্ময়কর দিক হলো হিংস্র দেব-দেবীর সাধারণ উপস্থাপন ও বর্ণন, যা প্রায়শই রাগান্বিত রূপে, অগ্নিবৃত্তে বা মৃতের মাথার খুলি সংবলিত আকৃতিতে চিত্রিত করা হয়। চিত্রগুলো ধর্মপালদের (রক্ষক) প্রতিনিধিত্ব করে, তাদের যেমন ভয়ানক আগ্রাসী রূপ রয়েছে তেমন আবার সরল করুনাময় রূপও রয়েছে। তাদের ক্রোধ ধর্মের সুরক্ষা নিশ্চিতে তাদের উৎসর্গের পাশাপাশি স্বতন্ত্র তান্ত্রিক চর্চার অবক্ষয় বা ভাঙ্গন রোধ নিশ্চিতের প্রতিনিধিত্ব করে। |
20231101.bn_772880_9 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%A4%E0%A6%BF%20%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A6%BF | তিব্বতি সংস্কৃতি | হিমালয়ের অঞ্চলের আদি প্রকৃতিপূজারী ধর্ম বোন্ ধর্ম হিসাবে পরিচিত। তিব্বতি শিল্পকলায় স্থানীয় রক্ষক দেবদেবীদের সর্বদেবীয় একটি মন্দিরের অবদান রয়েছে। তিব্বতি মন্দিরগুলিতে, যা ল্যাখাং নামে পরিচিত, গৌতম বুদ্ধ বা পদ্মসম্বাভের মূর্তিগুলি প্রায়শই অঞ্চলটির রক্ষক দেবতার মূর্তিগুলির সাথে জুড়ে দেওয়া হয় যা প্রায়শই রাগান্বিত বা অন্ধকার রূপে দেখা যায়। এই দেবদেবীরা একসময় স্থানীয় নাগরিকদের ক্ষতি ও অসুস্থতার জন্ম দিয়েছিল কিন্তু পদ্মসম্বাবাদের আগমনের পরে এই নেতিবাচক শক্তিগুলি বশীভূত হয়েছে এবং সেজন্য এখন বাধ্যতামূলকভাবে বৌদ্ধধর্মের সেবা করতে হবে। |
20231101.bn_772880_10 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%A4%E0%A6%BF%20%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A6%BF | তিব্বতি সংস্কৃতি | তিব্বতি মাদুর তৈরি করা তিব্বতীয়দের ঐতিহ্যের একটি প্রাচীন শিল্পকলা ও কারুকলা অংশ। এই মাদুরগুলি মূলত তিব্বতের পার্বত্য অঞ্চলের ভেড়ার বিশুদ্ধ উল থেকে তৈরি করা হয়। তিব্বতিরা ঘরোয়াভাবে ব্যবহারের জন্য মেঝে থেকে শুরু করে দেয়ালে ঝুলন্ত অবস্থায় এমনকি ঘোড়ার জিন পড়ানো সহ প্রায় সকল জায়গায় তিব্বতি মাদুর ব্যবহার করে থাকে। ঐতিহ্যগতভাবে সর্বোৎকৃষ্ট তিব্বতি মাদুরগুলো গ্যান্তসেতে তৈরী হয়, এটি একটি শহর যা এর প্রস্তুতকৃত মাদুরগুলির জন্য সুপরিচিত। |
20231101.bn_772880_11 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%A4%E0%A6%BF%20%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A6%BF | তিব্বতি সংস্কৃতি | তিব্বতি মাদুর তৈরির প্রক্রিয়াটির প্রায় সকল অংশ হাতে সম্পন্ন করা হয় বলে প্রক্রিয়াটি অন্যন্য। কিন্তু আধুনিক প্রযুক্তি প্রবর্তনের সাথে সাথে করিগরি জ্ঞান ধীরে ধীরে বিলুপ্ত হওয়ার পাশাপাশি হাতে প্রস্তুতকরণে ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে গালিচা তৈরির প্রক্রিয়াগুলির কয়েকটি বিষয় যন্ত্র দ্বারা সম্পন্ন হয়। উপরন্তু, কিছু নতুন সমাপক কাজ যন্ত্রের মাধ্যমে সম্ভব হয়েছিল। |
20231101.bn_772880_12 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%A4%E0%A6%BF%20%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A6%BF | তিব্বতি সংস্কৃতি | তিব্বতি মাদুরগুলি কেবল তিব্বতেই নয়, নেপালেও বড় রকমের ব্যবসার বিষয়, যেখানে তিব্বতি অভিবাসীরা তাদের সাথে তিব্বতি মাদুর তৈরির জ্ঞান বহন করে নিয়ে আসে। বর্তমানে নেপালে তিব্বতি মাদুরের ব্যবসা দেশের বৃহত্তম শিল্পগুলির মধ্যে অন্যতম এবং বহুসংখ্যক মাদুর রফতানিকারক রয়েছে। |
20231101.bn_772880_13 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%A4%E0%A6%BF%20%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A6%BF | তিব্বতি সংস্কৃতি | থাঙ্কা, যা হলো নেপালি এবং কাশ্মীরি চিত্রকলার সাথে চীনা ঝুলন্ত উল্লম্ব লেখনীর একটি সমন্বয়পন্থী শিল্প, একাদশ শতাব্দী থেকে এখন পর্যন্তও টিকে রয়েছে। তুলো বা লিনেনের উপর আয়তক্ষেত্রাকার এবং জটিল বিন্যাসে এগুলি আঁকা হয়, সাধারণত ঐতিহ্যবাহী বাণী যা দেব-দেবী, বিখ্যাত সন্ন্যাসী এবং অন্যান্য ধর্মীয়, জ্যোতিষশাস্ত্রীয়, এবং ধর্মতত্ত্বের বিষয়গুলি এবং কখনও কখনও মন্ডলগুলিকেও চিত্রিত করে তুলে ধরে। চিত্রটি যে নষ্ট না হয় তা নিশ্চিত করার জন্য, চিত্রটি বর্ণিল রেশমি কাপড় দ্বারা বাধাই করে গুটিয়ে রেখে সংরক্ষণ করা হয়। থাঙ্কা শব্দের অর্থ "কোনো কিছু গোটানো" এবং এটি বোঝায় যে থাঙ্কাগুলি সহজেই পরিবহনের জন্য গুটিয়ে নেওয়া যেতে পারে। |
20231101.bn_772880_14 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%A4%E0%A6%BF%20%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A6%BF | তিব্বতি সংস্কৃতি | থাঙ্কার পাশাপাশি, মন্দিরের দেয়ালে তিব্বতি বৌদ্ধ প্রাচীরের চিত্রগুলি দেয়ালচিত্র হিসেবে পাওয়া যায় এবং এর পাশাপাশি আসবাবপত্র সহ আরো অনেক বস্তুতে আলঙ্কারিক চিত্রকলা দেখতে পাওয়া যায়। |
20231101.bn_772880_15 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%A4%E0%A6%BF%20%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A6%BF | তিব্বতি সংস্কৃতি | তিব্বতীয় সাহিত্যের একটি সমৃদ্ধ প্রাচীন ঐতিহ্য রয়েছে যার মধ্যে মহাকাব্য, কবিতা, ছোট গল্প, নাচের স্ক্রিপ্ট, মুকাভিনয়, নাটক এবং আরো বিভিন্ন বিষয় রয়েছে যা একটি স্বতন্ত্র কর্মযজ্ঞে বৃহৎ পরিসরে বিস্তৃত হয়েছে, যার কয়েকটি পাশ্চাত্য ভাষায় অনুবাদিত হয়েছে। তিব্বতীয় সাহিত্যের সুদীর্ঘ ১৩০০ বছরেরও বেশি সময়কালের ঐতিহাসিক বিস্তৃতি রয়েছে। তিব্বতের বাইরে তিব্বতীয় সাহিত্যের সর্বাধিক পরিচিত বিষয় হলো মহাকাব্যগুলি - এর মধ্যে বিশেষভাবে বিখ্যাত হলো রাজা গেসারের মহাকাব্য। |
20231101.bn_772880_16 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%A4%E0%A6%BF%20%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A6%BF | তিব্বতি সংস্কৃতি | তিব্বতীয় স্থাপত্যে চীনা এবং ভারতীয় প্রভাব রয়েছে এবং এটি গভীরভাবে বৌদ্ধ ধর্মের অস্তিত্বের প্রতিফলন ঘটায়। দুটি হরিণ বা ড্রাগন চিত্রিত প্রার্থনা-চক্র প্রায় প্রতিটি তিব্বতি গোম্পায় দেখা যায়। স্তূপগুলির নকশাগুলি বিভিন্ন রকম হতে পারে; যেমন খাম অঞ্চলের স্তুপগুলোর গোলাকার দেয়াল থেকে শুরু করে লাদাখের স্তুপগুলোতে চতুষ্কোনাকৃতির দেয়াল পর্যন্তও দেখতে পাওয়া যায়। |
20231101.bn_772880_17 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%A4%E0%A6%BF%20%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A6%BF | তিব্বতি সংস্কৃতি | তিব্বতীয় স্থাপত্যকলার সর্বাধিক লক্ষণীয় বৈশিষ্ট্যটি হল বহুসংখ্যক বাড়ি এবং মঠ উঁচুস্থানে দক্ষিণে মুখোমুখি, রৌদ্রজ্জ্বল বেশি পাওয়া যায় এমন স্থানে নির্মাণ করা হয় এবং তা প্রায়শই পাথর, কাঠ, সিমেন্ট এবং মাটির মিশ্রণে তৈরি হয়। ঘরের ভিতর দিক সর্বদা আলোকিত ও উষ্ণ রাখার জন্য পর্যাপ্ত পরিমান প্রয়োজনীয় জ্বালানি তিব্বতে সহজলভ্য না হওয়ায় তাপ সুদীর্ঘক্ষন সংরক্ষণের জন্য বেশ পুরু স্তরের ছাদ রাখা হয় এবং পর্যাপ্ত পরিমান সূর্যের আলো যেন ঘরের ভিতরে ঢুকতে পারে তা নিশ্চিত করার জন্য বহুসংখ্যক জানালা রাখা হয়। তিব্বতের পার্বত্য অঞ্চলে ঘন ঘন সংঘঠিত ভূমিকম্পের বিরুদ্ধে সতর্কতা হিসাবে দেয়ালগুলি সাধারণত ঘরের ভিতর দিকে ১০ ডিগ্রি পর্যন্ত ঢালু রাখা হয়। |
20231101.bn_772880_18 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%A4%E0%A6%BF%20%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A6%BF | তিব্বতি সংস্কৃতি | ১১৭ মিটার উচ্চতা এবং প্রস্থে ৩৬০ মিটার প্রস্থ বিশিষ্ট পোতালা প্রাসাদটিকে ১৯৯৪ সালে বিশ্ব ঐতিহ্য স্থান হিসাবে চিহ্নিত করা হয় এবং ২০০১ সালে নোরবুলিংকা অঞ্চলকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়, যা তিব্বতীয় স্থাপত্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ হিসাবে বিবেচিত হয়। দালাই লামাদের তৎকালীন এই বাসভবনে তেরটি তলায় এক হাজারেরও বেশি কক্ষ রয়েছে এবং বুদ্ধের মূর্তি সহ প্রাক্তন দালাই লামাদের প্রতিকৃতিও রয়েছে। এটি বহিঃস্থ শ্বেত-প্রাসাদ (যা প্রশাসনিক মহল হিসাবে কাজ করে) এবং অভ্যন্তরীণ লৌহিত-ভবন (যেখানে লামাদের সমাবেশ কক্ষ, প্রার্থনা কক্ষ, ১০,০০০ টি মঠ এবং বৌদ্ধ ধর্মগ্রন্থের বিশাল গ্রন্থাগার রয়েছে) নামক দুটি অংশে বিভক্ত। |
20231101.bn_772880_19 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%A4%E0%A6%BF%20%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A6%BF | তিব্বতি সংস্কৃতি | অতীতে ঐতিহ্যবাহী খাম স্থাপত্যকলা ক্যাংডিংয়ের বেশিরভাগ আবাসে দেখা যেত। খাম স্থাপত্যরীতিতে তৈরী করা ঘরগুলি মূলত প্রশস্ত এবং ঐ অঞ্চলের পরিবেশের সাথে বেশ মানানসই ছিল। ক্যাংডিংয়ের অধিকাংশ বাড়ির ন্যায় তাদের মেঝে এবং ছাদ কাঠ নির্মিত ছিল। তবে আধুনিক ক্যাংডিং শহর পুনঃনির্মাণ করা হয়েছে। আগুনে পুড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকায় অতীতের কাঠের স্থাপত্যকলা বর্তমান ক্যাংডিংয়ে খুব একটা চোখে পড়ে না। কাঠ নির্মিত উল্লম্ব স্তম্ভগুলি অনুভূমিক থামগুলিকে ধরে রাখে ছাদের ভার বহন করে করে। যদিও ঐ অঞ্চলে ব্যাপকভাবে গাছ কেটে কাঠ সংগ্রহ করা হতো, তারপরও বসতবাড়ি নির্মাণের জন্য কাঠ আমদানি করা হতো এবং প্রচুর পরিমানে ব্যবহৃত হতো। বনভূমি দ্বারা ঘেরা খামের গার্জে তিব্বতি স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলটি ঢালাওভাবে কাঠের অলঙ্করণে সজ্জিত বিভিন্ন ধরনের নির্মাণশৈলীতে নির্মিত কাঠের সুন্দর বাড়িগুলির জন্য পরিচিত। বাড়ির অভ্যন্তরভাগ সাধারণত কাঠের নকশা দিয়ে সুসজ্জিত থাকে এবং খাস-কামরা বিভিন্ন ধরনের অলংকরণে সজ্জিত থাকে। যদিও ভালভাবে নির্মিত ঘরগুলিতে বিভিন্ন উপকরণ ব্যবহার করা হয়, যার মূল দিক হলো দক্ষতাপূর্ণ তক্ষণ যা খুবই আকর্ষণীয়। তক্ষণশিল্পের এই দক্ষতাটি বাবার কাছ থেকে পুত্রের দিকে ধাবিত হয় এবং সে অঞ্চলে প্রচুর তক্ষক রয়েছে। তবে কংক্রিটের কাঠামোগুলির ক্রমবর্ধমান ব্যবহার ঐতিহ্যবাহী তিব্বতীয় তক্ষণশিল্পের জন্য হুমকি স্বরূপ। কেউ কেউ কংক্রিটের বর্ধিত ব্যবহারকে তিব্বতে চিনের প্রভাবের স্বেচ্ছায় অনুপ্রবেশ হিসাবে বিবেচনা করে। গাবা পৌরসভায়, যেখানে খুব কম সংখ্যক হান চাইনিজ রয়েছে, প্রায় সমস্ত কাঠামোই ঐতিহ্যগত রীতিতে তৈরী। |
20231101.bn_772880_20 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%A4%E0%A6%BF%20%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A6%BF | তিব্বতি সংস্কৃতি | বিংশ শতাব্দীতে তিব্বতে সংঘটিত ঘটনাগুলি তিব্বতীয় মঠ সংক্রান্ত স্থাপত্যশৈলীর ব্যাপক ক্ষতি সাধন করেছিল। |
20231101.bn_772880_21 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%A4%E0%A6%BF%20%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A6%BF | তিব্বতি সংস্কৃতি | ত্রয়োদশ দালাই লামার আমলে ১৯১৪ সালে চীনাদের সাথে বৈঠকে বসতে বাধ্য করার জন্য টেঙ্গিলিং মঠটি ভেঙে ফেলা হয়েছিল। প্রাক্তন রাজপ্রতিনিধি রেতিংয়ের পক্ষাবলম্বন করার কারণে রাজপ্রতিনিধি তকত্রর আমলে ১৯৪৭ সালে সেরা মঠটি ছোট কামান দ্বারা বোমাবর্ষণের শিকার হয় এবং তিব্বতি সেনাবাহিনী কর্তৃক আক্রমণের শিকার হয়। |
20231101.bn_772880_22 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%A4%E0%A6%BF%20%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A6%BF | তিব্বতি সংস্কৃতি | এটি লক্ষ্য করা গুরুত্বপূর্ণ যে সেরা মঠটি কোনওভাবেই ধ্বংস হয়নি তবে কেবল আংশিকভাবে লুটের শিকার হয়েছিল। সাংস্কৃতিক বিপ্লবের সময় সবচেয়ে বড় ধ্বংসযজ্ঞ ঘটেছিল। চীনের সাংস্কৃতিক বিপ্লবের ফলস্বরূপ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ধ্বংসযজ্ঞ দ্বারা এবং রক্ষণাবেক্ষণের অভাব এই দুই এর দরুনই বৌদ্ধ বিহারগুলির পতন বা ক্ষতি হয়েছে। |
20231101.bn_772880_23 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%A4%E0%A6%BF%20%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A6%BF | তিব্বতি সংস্কৃতি | যে সমস্ত মঠগুলি টিকে ছিল সেগুলো ১৯৮০ এর দশকের শুরুর দিক থেকে পুনরুদ্ধার শুরু করে তিব্বতিরা। বর্তমানে এটি একটি আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টা হয়ে উঠেছে। কীভাবে পূর্বাঞ্চলের মালভূমিতে অবশিষ্ট থাকা মঠগুলি পুনরুদ্ধার এবং সংরক্ষণ করবেন তা বিশেষজ্ঞরা তিব্বতীদের শিখিয়ে দিচ্ছেন। |
20231101.bn_772880_24 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%A4%E0%A6%BF%20%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A6%BF | তিব্বতি সংস্কৃতি | কুম্বুম মঠের মতো অন্যান্য মঠগুলো বরাবরই চীনের রাজনীতি দ্বারা আক্রান্ত হয়ে আসছে। ১৯৬৭ সালে সিমবিলিং মঠ সম্পূর্ণ ধ্বংস করা হয়, যদিও পরবর্তীতে এর কিছু অংশ পুনরুদ্ধার করা হয়। |
20231101.bn_772880_25 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%A4%E0%A6%BF%20%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A6%BF | তিব্বতি সংস্কৃতি | তাশি ল্যূনপো মঠটি মঙ্গোলীয় স্থাপত্য কলার প্রভাব প্রদর্শন করে। ত্রাদ্রুক মন্দিরটি তিব্বতের প্রাচীনতম মন্দিরগুলোর মধ্যে অন্যতম, এটি বলা হয়ে থাকে যে সপ্তম শতাব্দীতে তিব্বতীয় সাম্রাজ্যের সোনৎসেন গ্যাম্পোর রাজত্বকালে প্রথম নির্মিত হয়েছিল। জোখ্যাং মঠটিও মূলত সোনৎসেন গ্যাম্পোর অধীনে নির্মিত হয়েছিল। জোখ্যাং মন্দিরটি তিব্বতের টিউবো আমলে নির্মিত হওয়া টিকে থাকা ভবনগুলোর মধ্যে সর্বাধিক জাঁকজমকপূর্ণ ভবন এবং তিব্বতের সর্ব-প্রাচীন বেসামরিক ভবন। এটি তিব্বত, নেপাল, ভারত এবং চীনের তাং রাজবংশের স্থাপত্য শৈলীর সমন্বয় ঘটিয়েছে এবং কয়েক হাজার বছর ধরে তিব্বতীয় ধর্মীয় স্থাপত্যের নিদর্শন হয়ে উঠেছে। সুরফু মঠটি ১১৫৯ সালে প্রথম কর্মপা লামা দ্যুসুম খ্যেনপা (১১১০-১১৯৩) প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, তিনি ক্ষেত্রটি পরিদর্শন করার পরে এবং স্থানীয় রক্ষক, ধর্মপাল এবং লোক-বোধির কাছে নৈবেদ্য দিয়ে সেখানে একটি আসন প্রতিষ্ঠার ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন। ১১৮৯ সালে তিনি ক্ষেত্রটি পুনঃদর্শন করেছিলেন এবং সেখানে তিনি তার মূল আসনটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ১০০০ জন সন্ন্যাসীর ধারণ ক্ষমতায় উন্নীত করতে মঠটির আয়তন বৃদ্ধি করা হয়েছিল। সোসোং গংবা একটি ছোট মঠ যা চৌদ্দ শতকের কাছাকাছি কোনো এক সময়ে নির্মিত। ১৪১৮ সালে পালচো মঠটি প্রতিষ্ঠা করা হয়, যা তার কুম্বুমের জন্য সুপরিচিত যেখানে চারটি তলায় মোট ১০৮ টি প্রার্থনা কক্ষ রয়েছে। ১৫০৯ সালে প্রতিষ্ঠিত চোকরগিয়েল মঠে দ্বিতীয় দালাই লামা একদা ৫০০ সন্ন্যাসীর বসবাসের ব্যবস্থা করা হয়েছিল, কিন্তু সাংস্কৃতিক বিপ্লবের সময় তা সম্পূর্ণ ধ্বংস করে ফেলা হয়েছিল। |
20231101.bn_772880_26 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%A4%E0%A6%BF%20%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A6%BF | তিব্বতি সংস্কৃতি | রামোচে মন্দির লাসার একটি গুরুত্বপূর্ণ মন্দির। নির্মিত মূল ভবনটি তাং রাজবংশের স্থাপত্যশৈলীর দ্বারা দৃঢ়ভাবে প্রভাবিত হয়েছিল কারণ এটি হান চীনা স্থপতিদের দ্বারা ৭ম শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে প্রথম নির্মিত হয়েছিল। রাজকন্যা ওয়েনচেং এই প্রকল্পের দায়িত্বে নেন এবং তার স্বদেশের প্রতি দুর্বলতা প্রদর্শনের জন্য পূর্বে দিকে মুখ করে মন্দিরটি তৈরি করার নির্দেশ দিলেন। |
20231101.bn_772880_27 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%A4%E0%A6%BF%20%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A6%BF | তিব্বতি সংস্কৃতি | তিব্বতি তাদের পোশাকে পরিধানে রক্ষণশীল সাধারণত রক্ষণশীল ধাঁচের হয়ে থাকে এবং কেউ কেউ পশ্চিমা পোশাক পরতে শুরু করলেও ঐতিহ্যবাহী পোশাক-শৈলী এখনও প্রচুর পরিমানে সমগ্র দেশজুড়ে দেখতে পাওয়া যায়। মহিলারা একটি ব্লাউজের উপর গাঢ় রঙের মোড়ানো পোশাক পরে এবং রঙিন ডোরাযুক্ত, উল দ্বারা বোনা পাংডেন নামক একধরনের এপ্রোন পরিধান করে থাকে, যা বোঝায় উক্ত পোশাক পরিহিত মহিলা অবিবাহিতা। পুরুষ এবং মহিলা উভয়ই গ্রীষ্মের মাসগুলিতে লম্বা হাতার পোশাক পরিধান করে থাকেন। |
20231101.bn_772880_28 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%A4%E0%A6%BF%20%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A6%BF | তিব্বতি সংস্কৃতি | ১৯৫৫ সালে প্রকাশিত টিবেটান মার্চেস বইয়ে আঁদ্রে মিগো তিব্বতি পোশাক-পরিচ্ছদ যেমনটা বর্ণ করেছেন তা নিম্নরূপ; |
20231101.bn_772880_29 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%A4%E0%A6%BF%20%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A6%BF | তিব্বতি সংস্কৃতি | তিব্বতের রন্ধনপ্রণালী তার প্রতিবেশী দেশসমূহের তুলনায় বেশ স্বতন্ত্র। তিব্বতের ফসল অবশ্যই উচ্চ উচ্চতায় ফলন-সক্ষম হতে হবে, যদিও তিব্বতের কয়েকটি অঞ্চল ধান, কমলা, লেবু এবং কলা জাতীয় ফসল উৎপাদন করার জন্য জন্য যথেষ্ট পরিমান নিম্নে রয়েছে। তিব্বতের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ফসল হল যব। ভাজা যব থেকে প্রস্তুতকৃত আটা-ময়দা, যাকে সাম্পা বলা হয়, এটি তিব্বতের প্রধান খাদ্য। এটি বেশিরভাগ সময় দেশটির জাতীয় পানীয় মাখন চায়ের সাথে মিশিয়ে খাওয়া হয়। মাখন চা এই উচ্চ উচ্চতায় বসবাস করা জনগণের দৈহিক চাহিদা পূরণে সম্পূর্ণ সক্ষম, কারণ এতে মাখন (তথা আমিষ ও স্নেহ), দুধ (আমিষ, স্নেহ এবং ক্যালসিয়াম), লবণ এবং চা রয়েছে। তিব্বতি রন্ধনপ্রণালীতে বিভিন্ন ধরনের খাবার রয়েছে। সবচেয়ে বিখ্যাত হল মোমোস (তিব্বতি ডাম্পলিং)। বালেপ হল এক ধরনের তিব্বতি রুটি যা সকালের নাস্তায় এবং মধ্যাহ্নভোজনে খাওয়া হয়। তিব্বতে আরও অনেক ধরনের বালেপ রুটি এবং ভাজা পিঠা পাওয়া যায়। থুকপা হল এক ধরনের ঝোলা নুডলস্। এর ঝোলে বিভিন্ন ধরনের, আকারের সবজি ও মাংস মিশ্রিত থাকে। খাবার হস্ত সহযোগে খাওয়া হয় এমন অন্যান্য হিমালয় অঞ্চলের রন্ধনপ্রণালীর বিপরীতে তিব্বতি খাবারগুলি বাঁশের সরু কাঠির সাথে প্রথাগতভাবে পরিবেশন করা হয়। তিব্বতিরাও স্যুপ খাওয়ার জন্য ছোট বাটি ব্যবহার করে এবং ধনী ব্যক্তিরা স্বর্ণ ও রৌপ্যের বাটি ব্যবহার করেন বলে জানা যায়। ঐরকম উচ্চতায় যেহেতু কেবলমাত্র কয়েকটি ফসল জন্মায়, তাই তিব্বতি রন্ধনপ্রণালীগুলির অনেক সামগ্রী আমদানি করা হয়, যেমন চা, চাল এবং অন্যান্য। মাংসের পদগুলি চমরী গাই, ছাগল বা খাসির মাংস প্রায়শই শুকিয়ে অথবা মশলা দিয়ে আলু সহযোগে রান্না করে পরিবেশন করা হয়। তিব্বতিরা কখনই কুকুরের মাংস এবং কেবল বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে মাছ খেত না কারণ কুকুরকে গৃহপালিত প্রাণী ও পাহারাদার হিসাবে বিবেচনা করা হয় এবং মাছ বৌদ্ধ ধর্মের আটটি আধ্যাত্মিক প্রতীকসমূহের মধ্যে একটি। |
20231101.bn_772880_30 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%A4%E0%A6%BF%20%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A6%BF | তিব্বতি সংস্কৃতি | সরিষা তিব্বতে চাষ করা হয়, আর তাই তিব্বতি রন্ধনপ্রণালীতে এর জোরালো প্রভাব রয়েছে। চমরী গাইয়ের দুধ হতে প্রস্তুতকৃত দই, মাখন এবং পনির প্রায়শই খাওয়া হয়, এবং ভালভাবে প্রস্তুতকৃত দই মর্যাদার বিষয় হিসেবে বিবেচিত হয়। |
20231101.bn_772880_31 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%A4%E0%A6%BF%20%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A6%BF | তিব্বতি সংস্কৃতি | তিব্বতের বড় বড় শহরগুলিতে আজকাল অনেক রেস্তোঁরা সিচুয়ান রন্ধনপ্রণালীর চাইনিজ খাবার পরিবেশন করে থাকে। পাশ্চাত্য দেশ সমূহ থেকে আমদানি করা খাবারের পাশাপাশি মিশ্র-ধারার খাবার, যেমন চমরী গাইয়ের ভাজা মাংস এবং চিপসও বেশ জনপ্রিয়। তা সত্ত্বেও, বহু সংখ্যক ছোট দোকান শহুরে ও গ্রাম্য ধারার ঐতিহ্যগত বিভিন্ন তিব্বতি পদ পরিবেশন করে থাকে। |
20231101.bn_772880_32 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%A4%E0%A6%BF%20%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A6%BF | তিব্বতি সংস্কৃতি | জেসমিন চা এবং চমরী গাইয়ের দুধের মাখন হতে প্রস্তুতকৃত মাখন চা তিব্বতে পান করা হয়। অ্যালকোহোল জাতীয় পানীয়ের মধ্যে অন্যতম হলো: |
20231101.bn_772880_33 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%A4%E0%A6%BF%20%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A6%BF | তিব্বতি সংস্কৃতি | তিব্বতিরা বহুভর্তৃকত্ব প্রথা ব্যাপক পরিসরে অনুসরণ করত। ১৯৪০-এর দশকে তিব্বতে নিজের অতিবাহিত জীবন সম্পর্কে স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে অস্ট্রিয়ার লেখক হাইনরিখ হেরার তিব্বতি যাযাবরদের দ্বারা অনুসৃত বহুভর্তৃকত্ব প্রথার কথা উল্লেখ করেছিলেন: "আমরা যাযাবরদের মধ্যে বহুভর্তৃকত্ব প্রথার প্রচলন দেখতে পেয়ে অবাক হয়েছি। যখন বেশিরভাগ ভাই একই স্ত্রীকে ভাগাভাগি করে বসবাস করে, তখন বড় ভাই সবসময়ই বাড়ির কর্তা হিসেবে ন্যস্ত থাকে এবং স্ত্রীর উপর অন্যদের তখনই অধিকার থাকে যখন বড়ভাই দূরে থাকে বা অন্য কোথাও আত্মসুখে নিজেকে নিয়োজিত রাখে।" |
20231101.bn_772880_34 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%A4%E0%A6%BF%20%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A6%BF | তিব্বতি সংস্কৃতি | হেরার একটি বিশেষ ক্ষেত্র প্রসঙ্গে বহুপত্নীকত্ব প্রথার কথাও উল্লেখ করেছেন: "একজন ব্যক্তি এমন একটি বাড়ির বেশ কয়েকটি কন্যাকে বিয়ে করেন যেখানে কোনও পুত্র সন্তান এবং উত্তরাধিকারী নেই। এই ব্যবস্থার ফলে পরিবারের সম্পদ বিভিন্ন জন্যে বন্টিত হওয়ার হাত থেকে রেহাই পায়।" |
20231101.bn_772880_35 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%A4%E0%A6%BF%20%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A6%BF | তিব্বতি সংস্কৃতি | তিব্বত ক্যালেন্ডার হলো চান্দ্র-সৌর ক্যালেন্ডার, অর্থাৎ, তিব্বতি বছর ১২ বা ১৩টি চন্দ্র মাসের সমন্বয়ে গঠিত, প্রতিটি মাসের সূচনা এবং সমাপ্তি অমাবস্যা দিয়ে শেষ হয়। একটি ত্রয়োদশ মাস গড়পড়তা প্রতি তিন বছরে যোগ করা হয়, যাতে তিব্বতি বছর সৌর বছরের সমতুল্য হয়। মাস সমূহের কোনও নাম নেই, তবে চতুর্থ মাস ব্যতীত বুদ্ধের জন্ম ও জ্ঞানার্জন উদযাপনকারী সাকা দাওয়া নামে চতুর্থ মাসটি বৌদ্ধপূর্ণিমা ও গৌতম বুদ্ধের জন্ম দিবস হিসেবে পালন করা হয়, আর বাদবাকি অন্যান্য সব মাস তাদের সংখ্যা দ্বারা উল্লেখ করা হয়। |
20231101.bn_772880_36 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%A4%E0%A6%BF%20%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A6%BF | তিব্বতি সংস্কৃতি | প্রতিটি উপাদান পরপর দু'বছরের সাথে সম্পর্কযুক্ত হয়, প্রথমে তার পুরুষ রূপে , তারপরে স্ত্রী রূপে। উদাহরণস্বরূপ, একটি পুরুষ মৃৎ-ড্রাগন বর্ষের পরে একটি স্ত্রী মৃৎ-সাপ বর্ষ আগত হয়, আর এরপরে আসে একটি পুরুষ লৌহ-ঘোড়া বর্ষ। লিঙ্গ বাদ দেওয়া যেতে পারে, কারণ এটি প্রাণী থেকে অনুমান করা যেতে পারে যে বর্ষটি কোন লিঙ্গের। |
20231101.bn_772880_37 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%A4%E0%A6%BF%20%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A6%BF | তিব্বতি সংস্কৃতি | উপাদান-প্রাণী সংবলিত এই বর্ষীয় বিন্যাস পদ্ধতি ৬০ বছরের চক্রে আবর্তিত হয়, যার সূচনা হয় স্ত্রী অগ্নি-খরগোশ বর্ষের মাধ্যমে। বৃহৎ এই চক্রীয় বিন্যাস সংখ্যাযুক্ত। প্রথম চক্রটি ১০২৭ সালে শুরু হয়েছিল। অতএব, এই হিসাব অনুযায়ী ২০১৮ সাল মোটামুটি ১৭ তম চক্রের পুরুষ মৃৎ-কুকুর বর্ষের সাথে মিলসম্পন্ন এবং ২০১৯ সাল মোটামুটি ১৭ তম চক্রের স্ত্রী মৃৎ-শূকর বর্ষের সাথে মিলসম্পন্ন। |
20231101.bn_772880_38 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%A4%E0%A6%BF%20%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A6%BF | তিব্বতি সংস্কৃতি | তিব্বতে রবিবার, সোমবার ও বুধবারে জন্মানো মানুষদের ব্যক্তিগত নাম হিসেবে সাধারণত যথাক্রমে ন্যিমা (সূর্য), দাভা (চন্দ্র) ও ল্যাকপা (বুধ) নাম সমূহ রাখা হয়। |
20231101.bn_772880_39 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%A4%E0%A6%BF%20%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A6%BF | তিব্বতি সংস্কৃতি | খদক হলো তিব্বতের এক ধরনের ঐতিহ্যগত কাপড় খন্ড বিশেষ যা বিভিন্ন আচারানুষ্ঠানে প্রদান করা হয়। এটি শুভকামনা, মহত্ব ও অনুকম্পার প্রতীক। এটি সাধারণত রেশম দ্বারা তৈরী করা হয় এবং সাধারণত সাদা রংয়ের হয়ে থাকে যা দাতার হৃদয়ের শুদ্ধতার প্রতীক বহন করে। শুদ্ধতা খদকের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। কাউকে অপরিচ্ছন্ন-নোংরা খদক প্রদান করা অভদ্রতা এমনকি রূঢ়তা হিসেবে বিবেচিত হয়। |
20231101.bn_772880_40 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%A4%E0%A6%BF%20%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A6%BF | তিব্বতি সংস্কৃতি | খাতা একটি বহুমুখী উপহার। এটি বিবাহ, অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া, জন্মদিন, সহ যে কোনও উৎসব অনুষ্ঠানে নিমন্ত্রণকর্তার হাতে তুলে দেয়া যায়, এমনকি স্নাতকোত্তর সমাবর্তনের পাশাপাশি অতিথি আগমন ও প্রস্থানকালেও দেয়া যায়। খদক প্রদানের সময় তিব্বতিরা সাধারণত "তাশি দেলেক" (অর্থাৎ শুভকামনা) বলে শুভকামনা জানায়। |
20231101.bn_772880_41 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%A4%E0%A6%BF%20%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A6%BF | তিব্বতি সংস্কৃতি | নবজাতকের জন্মের সময় ঐতিহ্যগতভাবে দেয়া হয় এমন একটি উপহার হলো পাহাড়ি ছাগলের মূর্তি, যেমনটা অগাস্ট হারমান ফ্র্যাঙ্ক কর্তৃক নিম্নে বর্ণিত হয়েছে:"খালাৎসেতে আমাদের খ্রিস্টান ধর্ম প্রচারক কয়েক সপ্তাহ আগে বাবা হয়েছিলেন এবং গ্রামের লোকেরা তাকে এবং তাঁর স্ত্রীর কাছে আটা-ময়দার মণ্ড দ্বারা নির্মিত একটি আইবেক্স মূর্তি উপহার দিয়েছিল। তিনি আমাকে আটা-ময়দা এবং মাখন দিয়ে তৈরি মূর্তিগুলোর একটি দিয়েছিলেন, এবং আমাকে বলেছিলেন যে সন্তানের জন্ম উপলক্ষে আটা-ময়দা দ্বারা প্রস্তুতকৃত আইবেক্স মূর্তি উপহার দেওয়ার বিষয়টি তিব্বত এবং লাদাখের একটি রীতি। এটি বেশ আকর্ষণীয় তথ্য। কারণ আমি প্রায়শই এটা ভেবে অবাক হতাম যে লাদাখের প্রাক-বৌদ্ধ অঞ্চলে আইবেক্সের এতগুলি শিলা চিত্রকলা কেন ছিল? এখন এটি দেখে মনে হচ্ছে যে তারা সম্ভবত সন্তানের জন্মের পরে ধন্যবাদ জ্ঞাপন স্বরূপ আইবেক্সের মূর্তি উপহার স্বরূপ প্রদান করে থাকে। যেমনটা আমি আমার পূর্ববর্তী নিবন্ধে দেখানোর চেষ্টা করেছি, লোকেরা বৌদ্ধ ধর্ম আগমনের পূর্বকালের উপাসনালয়ে বিশেষত বাচ্চাদের জন্য আশীর্বাদ লাভের প্রার্থনা করতে যেত।" |
20231101.bn_772880_42 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%A4%E0%A6%BF%20%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A6%BF | তিব্বতি সংস্কৃতি | তিব্বতের সংগীতে সমগ্র হিমালয় অঞ্চলের ঐতিহ্যের প্রতিফলন ঘটে। যা মূলত তিব্বত কেন্দ্রিক হলেও ভারত, ভুটান ও নেপাল সহ পৃথিবীজুড়ে যে সকল স্থানে তিব্বতি জনসমষ্টি রয়েছে সেখানে সুপরিচিত। শীর্ষস্থানীয় তিব্বতি সংগীত মূলত ধর্মীয় সংগীত, যা তিব্বতি সংস্কৃতিতে তিব্বতি বৌদ্ধ ধর্মের সুপ্রতিষ্ঠিত প্রভাবের প্রতিফলন ঘটায়। |
20231101.bn_772880_43 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%A4%E0%A6%BF%20%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A6%BF | তিব্বতি সংস্কৃতি | তিব্বতি বা সংস্কৃত ভাষায় ভজন প্রায়শই ধর্মের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হিসাবে তিব্বতি সঙ্গীতের অন্তর্ভুক্ত বলে মনে করা হয়। এই ভজনগুলি জটিল, প্রায়শই পবিত্র গ্রন্থগুলির আবৃত্তির নামান্তর যা বিভিন্ন উৎসব উদযাপনে জপাকারে গাওয়া হয়। ইয়্যাংভজন, ধরাবাধা সময় বাইরে গিয়ে দলের তালে ও পুনরাবৃত্তি নিম্ন সুরের সহিত গাওয়া হয়। অন্যান্য ধারাগুলির মধ্যে রয়েছে তিব্বতি বৌদ্ধধর্মের বিভিন্ন শাখার ভজন, যেমন জনপ্রিয় গেলুগ শাখার শাস্ত্রীয় সংগীত এবং ন্যিংমা, শাক্য এবং কাগ্যু শাখার প্রচলিত ভাবপ্রবণ সংগীত। |
20231101.bn_772880_44 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%A4%E0%A6%BF%20%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A6%BF | তিব্বতি সংস্কৃতি | ধর্ম নিরপেক্ষ তিব্বতি সংগীত ১৪ তম দালাই লামা কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত তিব্বতি ইনস্টিটিউট অফ পারফর্মিং আর্টসের মতো সংস্থাগুলির দ্বারা উন্নীত হয়েছে। তায়েশি এবং ন্যাংমার মতো নাচের সংগীত সহ অন্যান্য ধারায় শাখান্বিত হওয়ার আগে এই সংগঠনটি ল্যামোর মতো গীতিনাট্যের ধারায় বিশেষায়িত হয়েছিল। তিব্বতের শহুরে অঞ্চলের কারাওকে বারগুলিতে ন্যাংমা বিশেষভাবে জনপ্রিয়। জনপ্রিয় ধারার সংগীতের আর এক রূপ হল ধ্রুপদী গার ধারা, যা আচার ও অনুষ্ঠানগুলিতে সঞ্চালিত হয়। স্বরযন্ত্রের কম্পন এবং উচ্চ তীক্ষ্ণতা বৈশিষ্ট্যযুক্ত লু হল এক ধরনের গান যা সাধারণত যাযাবর গোষ্ঠীর লোকেরা গেয়ে থাকে। এছাড়াও মহাকাব্য বর্ণনাকরি চারণ-কবিও রয়েছে যারা তিব্বতের জাতীয় নায়ক গেসার-এর বিবিধ বিষয়ে গান গেয়ে থাকেন। |
20231101.bn_772880_45 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%A4%E0%A6%BF%20%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A6%BF | তিব্বতি সংস্কৃতি | চীনের জনপ্রিয় ধারার সংগীতে তিব্বত বেশ ভালোভাবে উপস্থাপিত হয়। তিব্বতি গায়করা বিশেষত তাদের শক্তিশালী কণ্ঠ সক্ষমতার জন্য সুপরিচিত, যার কারণস্বরূপ অধিকাংশ ব্যক্তিবর্গ অতি উচ্চতায় তিব্বতি মালভূমির অবস্থানের বিষয়টি করে থাকেন। সেতেন দোলমা ১৯৬০-এর দশকে "দুনিয়াটা লাল" নামক নাচ ও গানের সমন্বিত পার্ফমেন্সের দরুন ব্যাপক সুখ্যাতি অর্জন করেছিলেন। কেলসাং মেতোক হলো একজন বিখ্যাত গায়ক যিনি চীনা এবং পশ্চিমা জনপ্রিয় ধারার সাথে ঐতিহ্যগত তিব্বতি সংগীতের সমন্বয় সাধন করেন। পূর্বা র্গ্যাল হাওন্যানআর-এর ২০০৬ সালের আসরে বিজয়ী হয়েছিলেন, যা হলো আমেরিকান আইডলের চীনা সংস্করণ। ২০০৬ সালে তিনি শেরহুড হু পরিচালিত প্রিন্স অব দি হিমালায়াস চলচ্চিত্রে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেন, যা শেক্সপিয়ারের লেখা হ্যামলেট নামক বিয়োগান্তক নাটকটি অবলম্বন করে তৈরী করা হয়েছে, যার পটভূমিতে রয়েছে প্রাচীন তিব্বত এবং এর সকল অভিনয়শিল্পী তিব্বতি। |
20231101.bn_772880_46 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%A4%E0%A6%BF%20%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A6%BF | তিব্বতি সংস্কৃতি | তিব্বতের সংগীত পশ্চিমা সংগীতের নির্দিষ্ট কিছু ধারাকে প্রভাবিত করেছে; যেমন নিউ-এইজ, ফিলিপ গ্ল্যাস, হেনরি আইখহাইম সহ অন্যান্য আরো অনেক সুরকার তাদের সংগীতে তিব্বতি উপাদান ও বিষয়বস্তু ব্যবহার করার জন্য বেশ সুপরিচিত। তিব্বতি সংগীত সংবলিত মিশ্র ধারার প্রথম কোনো পশ্চিমা সংগীত ছিল ১৯৭১ সালে তৈরী হওয়া টিবেটান বেলস্। গ্ল্যাসের প্রস্তুতকৃত কুন্ডুন গানটির হাত ধরে তিব্বতি সংগীতকে পশ্চিমা দুনিয়ায় বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। |
20231101.bn_772880_47 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%A4%E0%A6%BF%20%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A6%BF | তিব্বতি সংস্কৃতি | বিদেশী ধারার জনপ্রিয় সংগীত তিব্বতের গন্ডির মধ্যে বড় রকমের প্রভাব ফেলেছে। ভারতীয় চলচ্চিত্রের গান ও গজল তিব্বতে বেশ জনপ্রিয়। একইভাবে আমেরিকার রক এন্ড রোল ধারাটিও তিব্বতে বেশ জনপ্রিয় যা তিব্বতে র্যাংজেন শোনুর মতো বিখ্যাত গায়কদের অবতারণা করেছে। ১৯৮০-এর দশকে কিছু আইন শিথিল করার পর থেকে তিব্বতি পপ সংগীত ইয়াডং কাউন্টির আনুকূল্যে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে, যার অন্তর্ভুক্ত কিছু শিল্পী ও দল যেমন জাম্পা সেরিং, ৩ সদস্য বিশিষ্ট গায়ক দল এ.জে.এই.এ., ৪ সদস্য বিশিষ্ট দল গাও ইউয়ান হং, ৫ সদস্য বিশিষ্ট দল গাও ইউয়ান ফেং এবং দেচেন শাক-দাগসের অন্যতম সুপরিচিতর পাশাপাশি রাজনীতি দ্বারা প্রভাবিত ন্যাংমা দলটির গানের কথা গুলোও সুপরিচিত। গাও-ইউয়ান হং তিব্বতি ভাষার বিভিন্ন শব্দ বিশেষভাবে তাদের র্যাপ সংগীতে সংযুক্ত করে তুলে ধরেছে। |
20231101.bn_772880_48 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%A4%E0%A6%BF%20%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A6%BF | তিব্বতি সংস্কৃতি | তিব্বতি লোকজ অপেরা (আচে) ল্যামো "(বোন) দেবী" নামে পরিচিত, এটি নৃত্য, ভজন এবং গানের সংমিশ্রনে গঠিত হয়েছে। চিত্রনাট্যটি বৌদ্ধ ধর্মীয় গল্প এবং তিব্বতের ইতিহাস অবলম্বনে প্রস্তুত করা হয়েছে। চৌদ্দ শতকে থ্যাং তং গ্যালপো কর্তৃক ল্যামো প্রতিষ্ঠিত হয়, যিনি ছিলেন একাধারে একজন লামা এবং গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক বাস্তু-প্রকৌশলী। তিব্বতে পরিবহন ব্যবস্থার সুবিধা বৃদ্ধি করার জন্য তহবিল সংগ্রহ করার লক্ষ্যে গিয়ালপো এবং সাতজন নিয়োগপ্রাপ্ত মেয়ে প্রথম মঞ্চায়নের আয়োজন করে। ঐতিহ্য অব্যাহত থাকে, এবং লিংকা ও শোটনের মতো বিভিন্ন উৎসব উপলক্ষে ল্যামো মঞ্চায়িত হয়ে থাকে। |
20231101.bn_772880_49 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%A4%E0%A6%BF%20%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A6%BF | তিব্বতি সংস্কৃতি | গীতিনাট্যটি সাধারণত একটি নাটক, যা খোলা মঞ্চে মঞ্চায়ন হয়, যেখানে নাচ, গান এবং ভোজনের সমন্বয় দেখা যায়। রঙিন মুখোশগুলি কখনও কখনও কোনও নির্দিষ্ট চরিত্র চরিত্রায়িত করার জন্য পরিধান করা হয়, যেখানে লাল রং রাজার প্রতীক বোঝায় এবং হলুদ রং দেবদেবতা ও লামাগণকে বোঝায়। |
20231101.bn_772880_50 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%A4%E0%A6%BF%20%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A6%BF | তিব্বতি সংস্কৃতি | মঞ্চায়ন শুরু হয় মঞ্চ শুদ্ধ করা এবং আশীর্বাদের মাধ্যমে। এরপরে একজন কথক গল্পটির সংক্ষিপ্তসার গানের মাধ্যমে গেয়ে শোনান, অতঃপর মঞ্চায়ন শুরু হয়। নাটকের মঞ্চায়নের শেষে আরও একটি আধ্যাত্মিক আশীর্বাদ পরিচালিত হয়। |
20231101.bn_772880_51 | https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%A4%E0%A6%BF%20%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A6%BF | তিব্বতি সংস্কৃতি | তিব্বতীয় উৎসব যেমন লোসার, শোটন, স্নান উৎসব সহ আরও অনেক উৎসব দেশজ ধর্মে গভীরভাবে প্রতিষ্ঠিত এবং এর মধ্যে বিশেষ কিছু বিদেশী প্রভাবও রয়েছে। তিব্বতীয় উৎসবগুলি বিনোদনের একটি উচ্চ-মানের উৎস এবং ইয়াক রেসিংয়ের মতো আরো বিভিন্ন ধরনের খেলা এর অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। তিব্বতিরা এই উৎসবগুলিকে তাদের জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসাবে বিবেচনা করে এবং প্রায় প্রতিটি উৎসবে তারা অংশগ্রহণ করেন। |