date
stringclasses
5 values
title
stringlengths
6
64
subtitle
stringlengths
3
47
author
stringlengths
4
56
comment
stringlengths
1
3
ref
stringlengths
109
465
section
stringclasses
15 values
media
stringclasses
2 values
page
int64
1
5
tags
stringlengths
4
118
content
stringlengths
295
16.5k
article_id
int64
1.57M
1.57M
2019-01-01
৭০ এর নির্বাচনের সঙ্গে তুলনা করলেন তোফায়েল
null
নিজস্ব প্রতিবেদক. ঢাকা
২০
https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1572782/%E0%A7%AD%E0%A7%A6-%E0%A6%8F%E0%A6%B0-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%9A%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A7%87-%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A6%A8%E0%A6%BE-%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%A8-%E0%A6%A4%E0%A7%8B%E0%A6%AB%E0%A6%BE%E0%A7%9F%E0%A7%87%E0%A6%B2
bangladesh
online
3
নির্বাচন|রাজনীতি|একাদশ সংসদ নির্বাচন|বিএনপি|আওয়ামী লীগ|জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন. প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আগামী পাঁচ বছরে বাংলাদেশকে উন্নয়নের চরম শিখরে নিয়ে যাওয়া হবে। নির্বাচনের পর আজ মঙ্গলবার বছরের প্রথম দিনে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বাণিজ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন। তোফায়েল আহমেদ এবারের নির্বাচনকে ১৯৭০ সালের নির্বাচনের সঙ্গে তুলনা করেন। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন. আগামী পাঁচ বছর হবে ঐতিহাসিক বছর। সোনালী দিন। তিনি বলেন. এবারের নির্বাচনেও মানুষ উন্নয়নের পক্ষে ভোট দিয়েছে। সাংসদদের শপথ ও নতুন সরকার গঠনের বিষয়ে তোফায়েল আহমেদ বলেন. প্রক্রিয়াটা হলো আজ সাংসদদের গেজেট হতে পারে। এরপর শপথ হবে. সংসদ নেতা নির্বাচন করা হবে। তারপর সংসদ নেতা তাঁর পছন্দমতো মন্ত্রিসভা গঠন করবেন। বিএনপি জামায়াত ও ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচনে ভরাডুবির কারণ হিসেবে তোফায়েল আহমেদ বলেন. তাঁদের প্রার্থীদের এলাকায় যোগাযোগ ছিল না। গণসংযোগও সেভাবে করেননি। আবার অর্থের বিনিময়ে মনোনয়ন কেনাবেচা হয়েছে। এ ছাড়া জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ড. কামাল হোসেন তাঁর নীতি আদর্শ ত্যাগ করেছেন। জামায়াতের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন। এটা মানুষ পছন্দ করেনি। স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন. সংসদ নির্বাচনে বিএনপির বিপর্যয়ের অন্যতম কারণ হলো ড. কামাল হোসেন। বিএনপির এখন আত্মসমালোচনা করা উচিত। তাঁদের উপলব্ধি করে কাজ করা উচিত।
1,572,782
2019-01-01
এক নজরে ২০১৯ সালের ক্রীড়াসূচি
null
মন্তব্য
https://www.prothomalo.com/sports/article/1572781/%E0%A6%8F%E0%A6%95-%E0%A6%A8%E0%A6%9C%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A7%A8%E0%A7%A6%E0%A7%A7%E0%A7%AF-%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A7%9C%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A7%82%E0%A6%9A%E0%A6%BF
sports
online
3
ক্রিকেট
এ বছরও খেলার কমতি নেই। সবচেয়ে বড় আয়োজন ক্রিকেট বিশ্বকাপ. যেটি হবে ইংল্যান্ডে। এ বছরের বিশেষ আয়োজনের মধ্যে থাকছে কোপা আমেরিকাও। এবার যে আসরটি হবে ব্রাজিলে। এ বছরও খেলার কমতি নেই। সবচেয়ে বড় আয়োজন ক্রিকেট বিশ্বকাপ. যেটি হবে ইংল্যান্ডে। এ বছরের বিশেষ আয়োজনের মধ্যে থাকছে কোপা আমেরিকাও। এবার যে আসরটি হবে ব্রাজিলে। বিপিএল ৫ জানুয়ারি–৮ ফেব্রুয়ারি. বাংলাদেশ এশিয়ান কাপ ফুটবল ৫ জানুয়ারি–১ ফেব্রুয়ারি. আরব আমিরাত অস্ট্রেলিয়ান ওপেন টেনিস ১৪–২৭ জানুয়ারি. মেলবোর্ন এল ক্লাসিকো (রিয়াল–বার্সেলোনা) ৩ মার্চ. বার্নাব্যু. মাদ্রিদ আইপিএল ২৯ মার্চ–১৯ মে. ভারত এফএ কাপ ফাইনাল ১৮ মে. ওয়েম্বলি অনূর্ধ্ব–২০ বিশ্বকাপ ফুটবল ২৩ মে–১৫ জুন. পোল্যান্ড কোপা ডেল রে ফাইনাল ২৫ মে ফ্রেঞ্চ ওপেন টেনিস ২৬ মে–৯ জুন. প্যারিস বিশ্বকাপ ক্রিকেট ৩০ মে-১৪ জুলাই ইংল্যান্ড উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনাল ১ জুন. মাদ্রিদ উয়েফা নেশনস লিগ ফাইনালস ৫–৯ জুন. পর্তুগাল মেয়েদের বিশ্বকাপ ফুটবল ৭ জুন–৭ জুলাই. ফ্রান্স কোপা আমেরিকা ১৪ জুন–৭ জুলাই. ব্রাজিল কনক্যাকাফ গোল্ডকাপ ১৫ জুন–৭ জুলাই আফ্রিকা কাপ অব নেশনস ১৫ জুন–১৩ জুলাই ক্রিকেট: অ্যাশেজ ১ আগস্ট–১৬ সেপ্টেম্বর ইংল্যান্ড উয়েফা সুপার কাপ ১৪ আগস্ট. ইস্তাম্বুল ইউএস ওপেন টেনিস ২৬ আগস্ট–৮ সেপ্টেম্বর. নিউইয়র্ক অ্যাথলেটিকস ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ ২৭ সেপ্টেম্বর–৬ অক্টোবর. দোহা অনূর্ধ্ব–১৭ বিশ্বকাপ ফুটবল ৫–২৭ অক্টোবর. পেরু টেনিস: ওয়ার্ল্ড ট্যুর ফাইনালস ১০–১৭ নভেম্বর. লন্ডন ইউরোপা লিগ ফাইনাল ২৯ মে. বাকু টেনিস: উইম্বলডন ১–১৪ জুলাই. লন্ডন সাইক্লিং: ট্যুর ডি ফ্রান্স ৬–২৮ জুলাই. ফ্রান্স
1,572,781
2019-01-01
যৌন হয়রানির অভিযোগ অস্বীকার আফগানিস্তান ফুটবল-প্রধানের
null
খেলা ডেস্ক
null
https://www.prothomalo.com/sports/article/1572780/%E0%A6%AF%E0%A7%8C%E0%A6%A8-%E0%A6%B9%E0%A7%9F%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%B0-%E0%A6%85%E0%A6%AD%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A7%8B%E0%A6%97-%E0%A6%85%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A7%80%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%86%E0%A6%AB%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%A8
sports
online
4
ফুটবল|আফগানিস্তান
বেশ কয়েক দিন আগে আফগানিস্তান ফুটবল ফেডারেশনের প্রধান কেরামুদ্দিন করিমের বিরুদ্ধে তিন নারী ফুটবলার যৌন হয়রানির অভিযোগ করেছিলেন। এই অভিযোগকে অস্বীকার করে তিনি জানিয়েছেন. মানহানির উদ্দেশ্যেই এমন অভিযোগ করা হয়েছে বেশ কয়েক দিন আগে আফগানিস্তান ফুটবল ফেডারেশনের প্রধান কেরামুদ্দিন করিমের বিরুদ্ধে তিন নারী ফুটবলার যৌন হয়রানির অভিযোগ করেছিলেন। এই অভিযোগকে অস্বীকার করে তিনি জানিয়েছেন. মানহানির উদ্দেশ্যেই এমন অভিযোগ করা হয়েছে তিনজন আফগানি নারী ফুটবলার যৌন হয়রানির গুরুতর অভিযোগ করেছিলেন দেশটার ফুটবল ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট কেরামুদ্দিন করিমের বিরুদ্ধে। যতক্ষণ না পর্যন্ত এই অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত হচ্ছে. করিম কেরামুদ্দিনসহ অভিযুক্ত আরও চারজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা দেশ ছেড়ে বাইরে যেতে পারবেন না. এ নিষেধাজ্ঞাও জারি করেছেন দেশটির অ্যাটর্নি জেনারেল। এই অবস্থায় নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেছেন ফেডারেশন প্রেসিডেন্ট। নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগকে সরাসরি অস্বীকার করে কেরামুদ্দিন করিম জানিয়েছেন. ‘এটা আমার সম্মানহানি করার জন্য একটা চক্রের কারসাজি। এসব অভিযোগ আমি অস্বীকার করছি। এসব অভিযোগের কোনো ভিত্তিই নেই। শুধুমাত্র পরিচয় না দিতে চাওয়া. চেহারা না দেখতে পাওয়া কয়েকজনের কণ্ঠস্বর এই অভিযোগ তুলেছে আমার দিকে। এতে কোনো কিছু প্রমাণ হয় না।’ ভয়ংকর এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে করিমকে নিষিদ্ধ করেছে বিশ্ব ফুটবলের সবচেয়ে বড় নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফাও। বহির্বিশ্বের কাছে আফগানিস্তানের মানহানি করার হীন উদ্দেশ্য নিয়ে অভিযোগকারীরা এমন কাজ করছে বলে মনে করছেন করিম. ‘যারা এসব অভিযোগ করছে. তারা আফগানিস্তান ছেড়ে ইউরোপে থাকতে চায়. বাইরের বিশ্বের কাছে আমাদের দেশের. আমাদের ফেডারেশনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে চায়। এমন শত্রু আফগানিস্তানের ভেতরে ও বাইরে ছড়িয়ে আছে অনেক।’ এসব অভিযোগের প্রভাব তাঁর ব্যক্তিগত জীবনের পড়ছে বলে জানিয়েছেন দুই স্ত্রী ও ১১ সন্তানের জনক. ‘অ্যাটর্নি জেনারেল তদন্ত করে দেখবেন এসব অভিযোগের সত্যতা আদৌ আছে কি নেই। একজন স্বামী হিসেবে. একজন পিতা হিসেবে অনেক যন্ত্রণাদায়ক পরিস্থিতির সম্মুখীন হচ্ছি আমি।’ এদিকে নারী ফুটবল দলের সাবেক সহকারী কোচ হেলি কার্টার জানিয়েছেন যথাযথ তদন্তে যে দোষী হিসেবে বের হয়ে আসবেন. তাকেই শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে. ‘নারী খেলোয়াড়েরা তাদের অভিযোগ আমাকে জানিয়েছে. অভিযোগের সপক্ষে প্রমাণও দেখিয়েছে আমাকে। তাই করিম যদি মনে করে থাকেন অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই. সেটা হাস্যকর।’ গত সপ্তাহে তিনজন নারী ফুটবলার দেশটির ফুটবল ফেডারেশনের প্রধানের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলে ব্রিটিশ গণমাধ্যম গার্ডিয়ানকে জানান. তারা যৌন হয়রানির শিকার। ফেডারেশন প্রধান তাঁদের এই বলেও হুমকি দিয়েছিলেন. যে এসব কথা ফাঁস করলে জীবনশঙ্কায় পড়তে হবে. ক্ষতিগ্রস্ত হবে সবার পরিবার। একজন নারী ফুটবলার ঘটনার ভয়াবহতার বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন. করিমের অফিসের মধ্যে গোপন শয়নকক্ষে যৌন নিগ্রহের শিকার হয়েছেন তিনি. খেয়েছেন ঘুষিও। আরেকজনের অভিযোগ. করিম তাঁর ঘাড় ও ঠোঁটে চুমু দিতে গিয়ে ব্যর্থ হয়ে তাঁকে সমকামী আখ্যা থেকে দল থেকেই বাদ দিয়ে দিয়েছেন! আরেকজনের অভিযোগ. করিম তাঁর মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে তাঁর সঙ্গে অনৈতিক কাজ করতে চেয়েছেন। অভিযুক্ত কেরামুদ্দিন করিম আফগানিস্তান ফুটবল ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পাশাপাশি দেশটার একজন রাজনীতিকও বটে। আফগানিস্তানের পাঞ্জশির এলাকার গভর্নর ছিলেন তিনি।
1,572,780
2019-01-01
‘মধু বাহিনী’র প্রধানের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন
null
নিজস্ব প্রতিবেদক. ঢাকা
https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1572779/%E2%80%98%E0%A6%AE%E0%A6%A7%E0%A7%81-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A7%80%E2%80%99%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A7%81%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A7%87-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%A6%E0%A6%A8
bangladesh
online
4
মানবতাবিরোধী অপরাধ|অপরাধ|আইন ও বিচার
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ের মো. মধু মিয়া তালুকদার ওরফে মো. মধু মিয়াসহ (৬৬) দুজনের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ করেছে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য নিযুক্ত তদন্তসংস্থা।মধু মিয়া বানিয়াচং থানার মুরাদপুর ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও বিএনপির সমর্থক। এখন তিনি কারাগারে। এই মামলার আরেক আসামি পলাতক থাকায় তাঁর নামপ্রকাশ করেনি তদন্তসংস্থা। আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর ধানমন্ডিতে স্থাপিত তদন্ত সংস্থার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান তদন্ত সংস্থার প্রধান সমন্বয়ক এম এ হান্নান খান। তিনি জানান. এটি তদন্ত সংস্থার ৬৭তম তদন্ত প্রতিবেদন। সংস্থার জ্যেষ্ঠ সমন্বয়ক সানাউল প্রথম আলোকে বলেন. আসামি মধু মিয়ার বিরুদ্ধে একাত্তরে গণহত্যা. হত্যা. অপহরণ. আটক. নির্যাতন. লুটপাটসহ মোট ৫টি অভিযোগ রয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের ২৬ এপ্রিল থেকে তদন্ত শুরু হয়। এরপর গত বছরের ২৩ মে তাঁকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়। মধু মিয়া এবং তার বংশের লোকজন মুসলিম লীগের সমর্থক ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তিনি বানিয়াচং থানার মুরাদপুর ইউনিয়নে শান্তি কমিটি ও ‘মধু বাহিনী’ নামে একটি রাজাকার দল গঠন করেন। তখন এই মধু ওই রাজাকার কমিটির প্রধান ছিলেন। দেশ স্বাধীন হলে তিনি পলাতক থাকেন। ১৯৭৬ সালে তিনি নিজ গ্রামে ফিরে এসে বিএনপিতে যোগদান করেন। ২০১৬ সালে বিএনপি থেকে বানিয়াচং থানাধীন মুরাদপুর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করে বিজয়ী হন। বর্তমানে তিনি এই ইউনিয়নের বিএনপির সভাপতি।
1,572,779
2019-01-01
কঠিন নিউজিল্যান্ডকেই পাবে বাংলাদেশ
null
খেলা ডেস্ক
১১
https://www.prothomalo.com/sports/article/1572774/%E0%A6%95%E0%A6%A0%E0%A6%BF%E0%A6%A8-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%89%E0%A6%9C%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A1%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%87-%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6
sports
online
4
ক্রিকেট|বাংলাদেশ নিউজিল্যান্ড সিরিজ
ঘরের মাঠে টানা চার সিরিজ জেতার নতুন রেকর্ড করেছে নিউজিল্যান্ড। ঘরের মাঠ. পরের মাঠ মিলিয়ে গত সাত সিরিজের ছয়টাতেই জিতেছে তারা। ধারাবাহিক সাফল্যের প্রতিফলন টেস্ট র‍্যাঙ্কিংয়েও। নিউজিল্যান্ডের পরের টেস্ট ফেব্রুয়ারিতে. বাংলাদেশের বিপক্ষে। ঘরের মাঠে টানা চার সিরিজ জেতার নতুন রেকর্ড করেছে নিউজিল্যান্ড। ঘরের মাঠ. পরের মাঠ মিলিয়ে গত সাত সিরিজের ছয়টাতেই জিতেছে তারা। ধারাবাহিক সাফল্যের প্রতিফলন টেস্ট র‍্যাঙ্কিংয়েও। নিউজিল্যান্ডের পরের টেস্ট ফেব্রুয়ারিতে. বাংলাদেশের বিপক্ষে। টানা চার টেস্ট সিরিজ জেতার পুরস্কার র‍্যাঙ্কিংয়েও পেল নিউজিল্যান্ড। কেন উইলিয়ামসনের দল দক্ষিণ আফ্রিকাকে টপকে টেস্ট র‍্যাঙ্কিংয়ে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে। কাল প্রকাশিত ২০১৮ সালের সর্বশেষ র‍্যাঙ্কিংয়ে দক্ষিণ আফ্রিকানদের চেয়ে ১ রেটিং পয়েন্টে এগিয়ে কিউইরা। শ্রীলঙ্কাকে ১-০ ব্যবধানে হারানোর পর ১০৭ রেটিং পয়েন্ট হয়েছে নিউজিল্যান্ডের। দক্ষিণ আফ্রিকা অবশ্য পাকিস্তান সিরিজ শেষেই আবার পেছনে ফেলতে পারে নিউজিল্যান্ডকে। সিরিজে ১-০-তে এগিয়ে থাকা দলটি উঠে যেতে পারে দ্বিতীয় স্থানেও। বছর শেষের র‍্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ আছে অষ্টম স্থানে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ২-১–এ এগিয়ে থাকা ভারত (১১৬) সবার ওপরে. ১০৮ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে ইংল্যান্ড। ব্যাটসম্যানদের টেস্ট র‍্যাঙ্কিংয়ে ৩ পয়েন্ট হারালেও শীর্ষস্থান ধরে রেখেছেন ভারতের অধিনায়ক বিরাট কোহলি। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কিউই অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনের চেয়ে ৩৪ পয়েন্ট এগিয়ে কোহলি। সেঞ্চুরিয়ন টেস্টে ৬ উইকেট নেওয়া কাগিসো রাবাদাই ধরে রেখেছেন বোলিংয়ের শীর্ষস্থান। ইংল্যান্ডের জেমস অ্যান্ডারসনের চেয়ে মাত্র ৬ পয়েন্ট এগিয়ে প্রোটিয়া ফাস্ট বোলার। পাঁচ ধাপ এগিয়ে তিনে উঠেছেন মেলবোর্ন টেস্টে ৯ উইকেট নেওয়া অস্ট্রেলীয় ফাস্ট বোলার প্যাট কামিন্স। কামিন্সের মতো ক্যারিয়ার-সেরা অবস্থানে উঠেছেন ভারতের যশপ্রীত বুমরাও। ম্যাচে ৯ উইকেট নেওয়া বুমরা ১২ ধাপ এগিয়ে উঠেছেন ১৬ নম্বরে। বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের মধ্যে ব্যাটিংয়ে সবার ওপরে সাকিব আল হাসান (২৩ তম)। বোলিংয়ে সাকিবের (২০ তম) চেয়ে এগিয়ে শুধু মেহেদী হাসান মিরাজ (১৭ তম)। অলরাউন্ডার র‍্যাঙ্কিংয়ে সাকিবই ধরে রেখেছেন এক নম্বর জায়গা। আইসিসি টেস্ট র‍্যাঙ্কিং র‍্যাঙ্কিং দল রেটিং ১ ভারত ১১৬ ২ ইংল্যান্ড ১০৮ ৩ (+১) নিউজিল্যান্ড ১০৭ ৪ (-১) দ. আফ্রিকা ১০৬ ৫ অস্ট্রেলিয়া ১০২ ৬ শ্রীলঙ্কা ৯৩ ৭ পাকিস্তান ৯২ ৮ উইন্ডিজ ৭০ ৯ বাংলাদেশ ৬৯ ১০ জিম্বাবুয়ে ১৩
1,572,774
2019-01-01
সেই সুন্দর একটি ভোরের অপেক্ষায়...
null
আশফাকুজ্জামান
null
https://www.prothomalo.com/opinion/article/1572773/%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A6%87-%E0%A6%B8%E0%A7%81%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A6%B0-%E0%A6%8F%E0%A6%95%E0%A6%9F%E0%A6%BF-%E0%A6%AD%E0%A7%8B%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%85%E0%A6%AA%E0%A7%87%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%BE%E0%A7%9F
opinion
online
4
চিঠিপত্র
২০১৯ তোমাকে বলছি। তুমি কেমন আছ? উত্তর দিচ্ছ না। ক্ষতি নেই। সময়ই বলে দেবে কেমন আছ। অপরিচিত কারও সঙ্গে কথা বলা কষ্টকর। তারপরও এই ঝুঁকিটা নিচ্ছি। তোমাকে বলতে চাই. কতগুলো গোপন বেদনার কথা। জানো. একসময় আমিও মানুষ ছিলাম। কেন? তুমি কি এখন মানুষ না? হয়তো। কিন্তু সেই মানুষ না। তিনিই সেই মানুষ. যিনি সমস্ত পৃথিবীর হয়ে দুঃখ পান। নাফ নদীর অথই জলে মৃত শিশু ভাসতে দেখে আমি তো দুঃখ পাই না। বোমায় বিধ্বস্ত ঘরের মধ্যে একমাত্র বেঁচে যাওয়া রক্তাক্ত শিশুর জন্য কেঁদে উঠি না। লাখ লাখ মানুষ নদীতে ভাসতে দেখে. নারী–শিশুকে ধর্ষিত হতে দেখে. পুরুষদের সার বেঁধে গুলি খেতে দেখে বেদনায় চোখ দিয়ে অশ্রু ঝরেনি। ২০১৯. তুমি জানো? যিনি মানুষ. তিনি ঝরাপালকের বেদনায়ও কষ্ট পান। এমনভাবে শিশিরভেজা ঘাসের বুকে পা ফেলেন যেন মাটির বুকেও কষ্ট না লাগে। আমার তো এমন হয় না। আমার কারণে কেউ হয়তো দুঃখ পান। চারদিকে এত অন্যায়. অমানবিকতা দেখি। অত্যাচার. নিষ্ঠুরতা দেখি। গুম. খুন. হত্যা. ধর্ষণের কথা শুনি। হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাটের কথা শুনি। কই? আমি তো কোনো প্রতিবাদ করি না। চিৎকার করে বলি না বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায় এসব চলবে না। আমি তো লজ্জায় মাথা নত করি না। ২০১৯. তাই তোমাকে বলছিলাম একসময় আমিও মানুষ ছিলাম। এই তো মাত্র সেদিন সড়ক দুর্ঘটনায় শিক্ষার্থী রাজীব ও মিমের রক্তাক্ত লাশ পড়ে থাকতে দেখলাম। সরকারি তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থী শাকিলকে বাস থেকে ফেলে হত্যা করা হলো। এক ঘাতক যান হাত ছিঁড়ে নিয়ে গেল এক যাত্রীর। সেই যাত্রীকে দেখিনি। সেই হাত আমি দেখেছি। সেই হাত এই গ্রহের মানুষের কাছে নালিশ জানিয়েছিল। তোমরা এই অন্যায় মেনে নিয়ো না। কিন্তু আমি তো মেনে নিয়েছি। সেসবের পরও প্রতিদিন সড়কে মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। এই বেটা ২০১৯! এরপরও তুমি আমাকে মানুষ বলবে? রাগ করো না ভাই। রাগে. দুঃখে. বেদনায় অনেক সময় নীল হয়ে যাই। মাথা ঠিক থাকে না। তোমাকে তো আগেই বলেছি. তোমাকে কিছু গোপন বেদনার কথা বলব। যাকে ভালো বাসা যায়. তার সঙ্গে রাগও করা যায়। মৃত্যুর চেয়ে নিঃশব্দ আর কী হয়? সব্যসাচী লেখক. পরানের গহিন ভেতরের লেখক অমর কথাশিল্পী সৈয়দ হক চলে গেলেন। এখনো মৃত্যুর গন্ধ শুকায়নি। মাত্র কয়েক দিন আগে চলে গেলেন ‘গোলাপী এখন ট্রেনের মতো’ অনেক নান্দনিক সিনেমার নির্মাতা নন্দিত চলচ্চিত্রকার আমজাদ হোসেন। কিসের মৃত্যু. কিসের ধ্বংস—কোনো কিছুই আমাকে স্পর্শ করে না। খাই দাই। ঘুমাই। প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিই। সন্ধ্যা হয়। ভোর আসে। আবার আরেকটি ভোরের জন্য অপেক্ষা। ২০১৯ তোমার কি মনে হয় এখনো আমি মানুষ আছি? যে সময় তোমার সঙ্গে কথা বলছি. সে সময়ে প্রচণ্ড শীতে কাঁপছে সারা দেশ। গরিব মানুষ নিশ্চয়ই শীতে কষ্ট পাচ্ছে। আমাদের একটি জনপদ উত্তরবঙ্গ। সেখানে সবকিছু বেশি বেশি। দারিদ্র্য বেশি. নিরক্ষরতা বেশি. শীত বেশি। প্রায় প্রতিবছর এখানে শীতে মানুষ মারা যায়। এবারও তারা শীতে হয়তো আরও বেশি কষ্ট পাবে। আমি তো লেপের মধ্যে শুয়ে নাক ডাকছি। অনেকগুলো কাপড় পরেও বলছি. আহ! কী শীত। আমি হয়তো অনেক কিছু বুঝি না। কতকগুলো মানুষ শীতে কষ্ট পাবে. সেটা তো বুঝি। কই আমি তো এসব মানুষের জন্য কিছু করছি না। তাই তো তোমাকে বলছিলাম ২০১৯. আমি আর আগের মতো নেই। এই যে ধরো না. আমাদের শিশুদের শৈশব বলে কিছু নেই। তোমার জানার কথা না। আমরা তখন শৈশবে। আমরা জানি। আমাদের শৈশব কত আনন্দের ছিল। সে সময় পড়ালেখা ছিল অকাজ। কাজ ছিল গ্রীষ্মের দুপুরে ঢিল ছুড়ে আম পাড়া। পাখি ধরা। নদীতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সাঁতার কাটা। ঘুড়ি ওড়ানো। দাঁড়িয়া বান্ধা. ফুটবল. ক্রিকেট. ব্যাডমিন্টন আরও কত–কী খেলা। রাতে দাদা-নানির কাছে গল্প শোনা। জোনাকি ধরা। এ পাড়ায়–ও পাড়ায় ঘোরাঘুরি। সে এক দারুণ সময়! তোমাকে বলে বোঝানো যাবে না। এখনকার শিশুরা সেসব চিন্তাই করতে পারে না। আমরা বড়রা তাদের শৈশব কেড়ে নিচ্ছি। কেড়ে নেওয়া উচ্চারণটা দুর্বল লাগছে। শৈশব হরণ করছি বা লুট করছি। তাদের কেবল পড়া. পড়া আর পড়া। প্রচণ্ড শীতের ভোরে নিজের ওজন থেকে বেশি ওজনের বইয়ের বোঝা নিয়ে স্কুলে যাওয়া। স্কুল থেকে ফিরে কোচিং। কোচিং থেকে ফিরে বাড়িতে টিচারের কাছে পড়া। খেলার মতো তাদের সময় কই? এমনকি ঠিকমতো ঘুমাতেও পারে না। মাত্র এক-দুই নম্বর কম পেলে অভিভাবকদের সে কী বকাঝকা! এই তো কয়েক মাস আগের ঘটনা। চাঁদের মতো ফুটফুটে দুটো শিশু অরণি. আলভি। নিজের মা গলাটিপে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। পড়াশোনায় একটু অমনোযোগী ছিল। এইটুকু তাদের অপরাধ। এখনো বাতাসে ফিরছে এই শিশুদের মৃত্যুর গন্ধ। তুমি বলো. ২০১৯. কোনোভাবে এটা মেনে নেওয়া যায়? এত মিষ্টি দুটো শিশু। আমি নিশ্চিত তুমি দেখলে চোখের পানি ধরে রাখতে পারতে না। আমি পেরেছি। আমাদের শিশুদের শৈশব হরণ করার বিরুদ্ধে. জিপিএনির্ভর শিক্ষার বিরুদ্ধে। আমি কি চিৎকার করে বলেছি. তিরিশ লাখ মানুষ রক্ত দিয়ে যে দেশ স্বাধীন করে. সে দেশে এ অনিয়ম চলবে না। এসব বন্ধ করতে হবে। আর এ জন্যই তোমাকে বললাম. একসময় আমিও মানুষ ছিলাম। আরও অনেক কষ্টের কথা আছে। সব কি আর বলা যায়? আগে আমরা গরিব ছিলাম। কিন্তু আমাদের একজনের প্রতি অন্যজনের গভীর ভালোবাসা ছিল। মায়া–মমতা ছিল। আবেগ–অনুভূতি ছিল। মানুষের সুখে-দুঃখে অন্তরাত্মা দিয়ে পাশে থাকার চেষ্টা করতাম। এখন মধ্য আয়ের দেশ আমাদের ঐশ্বর্য দিচ্ছে। কিন্তু কেড়ে নিচ্ছে মানুষের প্রতি মানুষের. ভালোবাসা. সহমর্মিতা। কাছে থাকা. পাশে থাকার মানসিকতা। আমরা ক্রমশ একে অন্যের থেকে দূরে সরে যাচ্ছি। এখন আগের মতো কেউ কারও কথা শোনে না। তোমাকে নিরন্তর শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা ২০১৯। তুমি এতটা সময় আমাকে দিলে। অনেকটা সময় নিয়ে আমার কথা শুনলে। তোমাকে বেদনার কথা বলতে পেরে কিছুটা হালকা লাগছে। বিদায়ের আগে একটু অনুরোধও করে রাখি তোমাকে। ২০১৭-১৮ আমাদের অনেক দুঃখ দিয়েছে। বলা যায় অনেক বেশি মন খারাপ করেছে। তুমি ওদের মতো হয়ো না। তুমি ভালো হয়ে এসো। আপন হয়ে এসো। বন্ধু হয়ে এসো। তোমাকে নিয়ে যেন ২০২০–এর কাছে আমাদের অভিযোগ করতে না হয়। ২০১৮ আমাদের কষ্টের কথা শুনতে পায়নি। আমাদের বেদনাবোধ তাকে স্পর্শ করেনি। ২০১৯ তুমি এমন হও যেন তোমাকে এসব বলতেই না হয়। এমন কোনো ঘটনা দেখতে চাই না যা অন্যকে কষ্ট দেয়। অন্যের বেদনার কারণ হয়। আমাদের ভাষা. সংস্কৃতি. মত. পথ হয়তো আলাদা। কিন্তু আমাদের দুঃখ. আমাদের অশ্রু. আমাদের আনন্দ. আমাদের রক্তের রং সব এক। স্রষ্টার কাছে সবাই সমান। কারও প্রতি তার বৈষম্য নেই। বিগ ব্যাং নামে একটি বিখ্যাত থিওরি আছে। এই থিওরি মতে. ১০ থেকে ২০ বিলিয়ন বছর আগে এক মহা বিস্ফোরণ হয়েছিল। এ বিস্ফোরণের মধ্য দিয়ে এই মহাবিশ্বের যাত্রা। তরপর পৃথিবী ঘুরছে সূর্যের চারদিকে। গ্যালাক্সির চারদিকে ঘুরছে সূর্য। আবার নিউক্লিয়াসের চারদিকে ঘুরছে অতিক্ষুদ্র ইলেকট্রন। এমনি করে জন্মের পর মৃত্যুও একটা চক্র। এই চক্র শেষ না হওয়া পর্যন্ত পৃথিবীতে মানুষ থাকবে। তোমার কাছে প্রার্থনা. এই মানুষ যেন ভালো থাকে। নিউটন একসময় মনে করতেন. সবকিছুর অবস্থান এই প্রকৃতির মধ্যে। প্রকৃতির কোনো অনিশ্চয়তা নেই। তাই আমাদের ওপরও কোনো অনিশ্চয়তা নেই। নিউটনের এই মনে করা আমাদের নিশ্চয়তা দিতে পারছে না। আমরা প্রতিনিয়ত অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। তোমার কাছে প্রার্থনা. তুমি আমাদের অনিশ্চয়তা. দুঃসময়. আমাদের দুঃখ-বেদনা-কষ্টের কারণগুলো আর যেন ফিরে না আসে। অনেক না–পাওয়ার মধ্যে একটি ভালো খবর দিই। তোমার আসার মাত্র দুদিন আগে একটি নির্বাচন হলো। তোমাকে উপহার দিলাম একটি নতুন সরকার। তুমি তাদের সঙ্গে থেকো। তারা যেন একটি নতুন ভোর এনে দেয়। সেই সুন্দর একটি ভোরের অপেক্ষায় থাকব আমরা। ভালো থেকো ২০১৯। আশফাকুজ্জামান: সাধারণ সম্পাদক. মুক্ত আসর; সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রথম আলো বন্ধুসভা (জাতীয় পর্ষদ)
1,572,773
2019-01-01
জাপা সরকারে না বিরোধী দলে. ঠিক হবে বৈঠকে
null
নিজস্ব প্রতিবেদক. ঢাকা
২৬
https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1572772/%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A6%BE-%E0%A6%B8%E0%A6%B0%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A6%A8%E0%A6%BE-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A7%8B%E0%A6%A7%E0%A7%80-%E0%A6%A6%E0%A6%B2%E0%A7%87-%E0%A6%A0%E0%A6%BF%E0%A6%95-%E0%A6%B9%E0%A6%AC%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A7%88%E0%A6%A0%E0%A6%95%E0%A7%87
bangladesh
online
4
জাতীয় পার্টি|রাজনীতি|একাদশ সংসদ নির্বাচন
জাতীয় পার্টির আগামীকাল বুধবারের যৌথসভায় সিদ্ধান্ত হবে দলটি সরকারে না কি বিরোধী দলে থাকবে। দলের মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা আজ মঙ্গলবার এ কথা বলেছেন। রাজধানীর বনানীতে দলীয় কার্যালয়ে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। জাতীয় পার্টির মহাসচিব বলেন. নির্বাচনের ফলাফলে আমরা সন্তুষ্ট নই। জাতীয় পার্টির আরও বেশি আসনে জয়ী হওয়ার কথা ছিল। তিনি বলেন. জাতীয় পার্টি এখন দ্বিতীয় বৃহত্তম ও শক্তিশালী দল। আগামী দিনে জাতীয় পার্টিকে একটি গণতান্ত্রিক দল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে আমরা কাজ করব । এখন পার্টির প্রধান কাজ হবে দলকে আরও সংগঠিত করা। আগামী সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি যাতে ক্ষমতায় যেতে পারে সে জন্যও প্রস্তুতি নিতে হবে এখন থেকেই। মসিউর রহমান রাঙ্গা আরও বলেন. কাল পার্টি চেয়ারম্যানের বনানী অফিসে নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য এবং প্রেসিডিয়াম সদস্যদের সঙ্গে অনুষ্ঠেয় যৌথসভায় সিদ্ধান্ত হবে জাতীয় পার্টি সরকারে না কি বিরোধী দলে থাকবে। তিনি বলেন. এরপর মহাজোটের সঙ্গেও এ বিষয়ে আলোচনা হবে । আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন. জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য মাসুদা এম রশীদ চৌধুরী. ভাইস চেয়ারম্যান রওশন আরা মান্নান. আলমগীর সিকদার লোটন. বাহাউদ্দিন বাবুল. নুরুল ইসলাম প্রমুখ।
1,572,772
2019-01-01
নতুন বইয়ে কাঁচা ঘ্রাণ
null
নিজস্ব প্রতিবেদক. ঢাকা
https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1572770/%E0%A6%A8%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%A8-%E0%A6%AC%E0%A6%87%E0%A7%9F%E0%A7%87-%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%81%E0%A6%9A%E0%A6%BE-%E0%A6%98%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A3
bangladesh
online
4
সরকার|প্রাথমিক শিক্ষা
মাথায় লাল সবুজ টুপি। চোখে মুখে হাসির ঝিলিক। হাতে হাতে নতুন বই। বইয়ের কাঁচা সুবাসে উদ্বেলিত খুদে শিক্ষার্থীরা। নতুন বই হাতে পেয়েই নেড়েচেড়ে দেখতে ব্যস্ত একেকজন। হঠাৎ কিছু চোখে পড়তেই পাশের সহপাঠীর সঙ্গে মুখ হাত দিয়ে হাসিতে লুটিয়ে পড়ছে কেউ কেউ। আবার অনেকে বইয়ের ঘ্রাণ শুঁকে দেখছে। নতুন বই বিতরণের মধ্য দিয়ে পাঠ্যপুস্তক উৎসবে মেতে উঠেছে দেশ। রাজধানীর আজিমপুর সরকারি গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে পাঠ্যপুস্তক উৎসব ২০১৯ অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। রাজধানীর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এ উৎসবে অংশ নেয়। পাশাপাশি সারা দেশেই পাঠ্যপুস্তক উৎসব পালিত হচ্ছে। শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ কয়েকজন শিক্ষার্থীর হাতে বই তুলে দিয়ে পাঠ্যপুস্তক উৎসবের উদ্বোধন করেন। প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি বলেন. ‘এই নতুন প্রজন্ম আগামী দিনের বাংলাদেশ গড়ে তুলবে। দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে বুদ্ধিবৃত্তিক উন্নয়ন করা। শিক্ষার গুণগত মানকে বিশ্বমানে পৌঁছানো। নতুন প্রজন্মকে আধুনিক যুগে উন্নতমানের শিক্ষা জ্ঞান. প্রযুক্তি এবং দক্ষতা দিয়ে গড়ে তোলা. যারা বাংলাদেশের নির্মাতা হিসেবে ভূমিকা পালন করবে।’ নতুন প্রজন্মকে গড়ে তোলার জন্য শিক্ষকদের আরও বেশি ত্যাগী ও প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হওয়ার জন্য অনুরোধ জানান মন্ত্রী। বই ছাপানো নিয়ে অনেক বিতর্ক হয়েছে এবং অসম্ভব বলে চারদিকে সমালোচনা হয়েছে উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন. বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এটাকে অসম্ভব মনে করলেও এ দেশে তা সম্ভব হয়েছে। বছরের প্রথম দিনেই বই তুলে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে। তিনি বলেন. এখন আর বই সংগ্রহ করতে বছরের অর্ধেক সময়ে চলে যায় না। একদিকে চলছিল অতিথিদের বক্তব্য অন্যদিকে যাদের জন্য উৎসব তারা নেড়েচেড়ে দেখছিল নতুন বইখানা। বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী সুমাইয়া বিনতে হাসানে নতুন বই হাতে পাওয়া মাত্রই আনন্দ পাঠ সবার আগে পড়ে ফেলে। গল্পগুলো পড়তে ওর ভীষণ ভালো লাগে। এ বছর ৪ কোটি ২৬ লাখ ১৯ হাজার ৮৬৫ জন শিক্ষার্থীর হাতে ৩৫ কোটি ২১ লাখ ৯৭ হাজার ৮৮২টি বই তুলে দেওয়া হয়েছে। ২০১০ সাল থেকে এ বই উৎসব হয়ে আসছে। গত ৯ বছরে এ পর্যন্ত তুলে দেওয়া হয়েছে ২৯৬ কোটি ৭ লাখ ৮৯ হাজার ১৭২টি বই। নুরুল ইসলাম নাহিদ জানান. কৃষি মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে ও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় ২০১৯ সালে ৬ষ্ঠ থেকে ৮ম ও নবম-দশম শ্রেণির জন্য দুটি সম্পূরক কৃষি শিক্ষা বই সব থানায় পাঠ্যপুস্তকের সঙ্গে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। এ বই ছাপা হয়েছে ১২ লাখ ৪২ হাজার ৬১টি। ২ কোটি ৬৬ লাখ ছেলে মেয়ে বিভিন্ন বৃত্তি পেয়ে থাকে জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন. সবার শিক্ষা লাভের সুযোগ সৃষ্টি করা হয়েছে। বাংলাদেশ এখন শিক্ষায় পিছিয়ে পড়া পশ্চাৎপদ দেশগুলোর জন্য অনুকরণীয় এবং রোল মডেল। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোহরাব হোসাইন বলেন. ২০৪১ সালের আগেই এ দেশ উন্নত দেশে পরিণত হবে। সেই উন্নত দেশকে নেতৃত্ব দেবে এই শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে সচিব বলেন. ‘পরীক্ষাকে পরীক্ষার মতো দাও। পরীক্ষায় কোনোভাবেই আশা করবে না কোনো ধরনের অবৈধ সুযোগ তোমরা সামনে আসবে। সব অবৈধ সুযোগ বন্ধ করা হয়েছে। বছরের প্রথম দিন থেকে পড়াশোনা করতে হবে’। শিক্ষার্থীরা যাতে কোনো অবৈধ উপায় অবলম্বন না করে সেদিকে নজর রাখতে শিক্ষক ও অভিভাবকদের প্রতি তিনি আহ্বান জানান। উৎসবে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন আজিমপুর সরকারি গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ হাসিবুর রহমান।
1,572,770
2019-01-01
১৩ বছর বয়স থেকে প্রেম করছি: দীপিকা পাড়ুকোন
null
বিনোদন ডেস্ক
null
https://www.prothomalo.com/entertainment/article/1572771/%E0%A7%A7%E0%A7%A9-%E0%A6%AC%E0%A6%9B%E0%A6%B0-%E0%A6%AC%E0%A7%9F%E0%A6%B8-%E0%A6%A5%E0%A7%87%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%AE-%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A6%9B%E0%A6%BF-%E0%A6%A6%E0%A7%80%E0%A6%AA%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%BE-%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A7%9C%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A7%8B%E0%A6%A8
entertainment
online
4
বলিউড
২০১৮ সালটি বলিউড তারকা দীপিকা পাড়ুকোনের জন্য বিশেষ। ছয় বছর প্রেম করার পর এ বছরই তিনি বিয়ে করেছেন প্রেমিককে। পেয়েছেন পুরস্কার. সম্মাননা। হয়েছেন ভারতের শীর্ষ আয় করা নারী তারকা। বিয়ের পর ফিল্মফেয়ারকে এক দীর্ঘ সাক্ষাৎকার দিয়েছেন তিনি। সেখানে বিয়ের পাশাপাশি উঠে এসেছে সহশিল্পী. প্রেমিক ও স্বামী রণবীর সিংয়ের প্রসঙ্গ। চলুন. পড়ে নেওয়া যাক সাক্ষাৎকারটির গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এশিয়ার ৫০ জন আবেদনময়ী নারীর মধ্যে আপনি শীর্ষে। আপনার কাছে এর কোনো অর্থ আছে? সত্যি বলতে. নেই। আমার নামটা ওখানে দেখে আমি খুশি হইনি. তা নয়। কিন্তু এই তকমা দিয়ে আমাকে যাচাই করা যাবে না। কাম ও নাম বিষয় দুটোকে এক করে ফেললে চলবে না। প্রথমেই আমাদের বিশ্বাস করতে হবে যে এটা একটা ভুল ট্যাগ। ব্যাপারটা কিন্তু কেবলই শারীরিক নয়; মানসিক. আত্মিক ও ব্যক্তিত্বের সঙ্গেও সম্পৃক্ত। এই বিষয়গুলোর সমন্বয়ে আমার নামটি যদি উচ্চারিত হয়. তাহলে ভালো। তবে এটা কিন্তু আমার জীবনকে নিয়ন্ত্রণ করবে. তা নয়। সম্প্রতি আপনি ভারতের চতুর্থ শীর্ষ রোজগার করা তারকা হয়েছেন।এটা নিয়ে আমি রোমাঞ্চিত; বিশেষ করে পারিশ্রমিক–বৈষম্য নিয়ে যখন কথা হয়। আমি আনন্দিত যে. বিষয়টি সামনে এসেছে। আমি এটা নিয়ে গর্বিত. কারণ আমি এটি অর্জন করেছি. চেয়ে নিইনি। বছরের পর বছর কাজের মাধ্যমে আমাকে এখানে পৌঁছাতে হয়েছে। চাইলেও অকারণে কোনো বোকাও আপনাকে এই টাকা দেবে না। এখনো নারী ও পুরুষ অভিনয়শিল্পীদের সম্মানী-বৈষম্য রয়েছে. এ নিয়ে আমাদের অনেক দূর যেতে হবে। কিন্তু এটা অবশ্যই উল্লেখযোগ্য একটি মুহূর্ত। আপনি আপনার অনেক পুরুষ সহকর্মীর থেকেও বেশি আয় করেন। এটা কি অন্য নারীদের আত্মবিশ্বাস জোগায়?জোগায়। অন্যরা কত নেয় জানা সত্ত্বেও আমি প্রায়ই ইচ্ছে করে টাকা বেশি নিই। ‘না’ বলার ক্ষেত্রে আমি যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী। সেটা সিনেমা বা কোনো প্রতিষ্ঠানের পণ্যদূত বা কোথাও উপস্থিত হওয়া—যা-ই হোক না কেন। আমি এটা আমার নিজের জন্য করি. তা নয়। বেশি নিই. কারণ আমি একটা প্রজন্মের জন্য পথ তৈরি করে দিতে চেয়েছি। কাউকে এটা করতেই হতো। আমি করতে পেরে আনন্দিত। এ কারণেই গত দুই বছর কোনো ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হননি? না। সিনেমার ক্ষেত্রে আমি সব সময়ই দেখি. মন কী চায়। সৃজনশীল কিছু না হলে কাজ করতে ইচ্ছে করে না। একবার পরপর চারটা ছবি করছি মানে যে আমাকে বছরে চারটি করে ছবি করতে হবে. তা নয়। করছি. কারণ প্রতিটি ছবি আলাদা এবং সৃজনশীলতার দিক থেকেও রোমাঞ্চকর। ধরেন দারুণ কিছু. তাহলে টাকা কম নেবেন? দেখতে হবে। বিষয়টি নির্ভর করবে সেখানে পুরুষ শিল্পী কত নিচ্ছেন. সেটার ওপর। সবাই জানে যে কে কত নেন এবং কেন নেন। সেসব ক্ষেত্রে আবার গোঁ ধরে বসে থাকি না। আমি এ বিষয়েও সচেতন যে খান সাহেবদের তুলনায় আমি কতটা পেতে পারি। এমনকি রণবীর সিং. রণবীর কাপুর ও বরুণ ধাওয়ানদের মতো নতুনদের বিষয়েও আমি সচেতন। আমি আমার অবস্থানটা বুঝি। আমি প্রযোজনার খরচ সম্পর্কেও অবগত। আমি এক টাকাও চাইব না. যদি টাকাটা ছবির পেছনে খরচ করা হয়। কিন্তু আমি নিজের অংশটুকু ছাড়ব না. যদি পুরুষ শিল্পীকে টাকা বেশি দেওয়ার জন্য আমাকে কেউ কম দিতে চায়; এমনকি যদি বলেন যে রণবীর সিংকে ছবিতে নেব. তাঁকে অনেকগুলো টাকা দিতে হবে. আপনি বেশি নেবেন না. তাহলে আমি শুনব না। সে ক্ষেত্রে আমাকেও সমান সম্মানী দিতে হবে। গত দুই বছর মনের মতো চরিত্রের জন্য অপেক্ষা করতে খারাপ লেগেছিল? একটু লেগেছিল। কিন্তু আমি নিজেকে ঢেলে সাজানোর খানিকটা সময় পেয়েছিলাম। পুরো সময়টিই দিয়েছিলাম মেঘনা গুলজারের ছবির (অ্যাসিড–সন্ত্রাসের শিকার লক্ষ্মী আগারওয়ালের জীবন নিয়ে চলচ্চিত্র) জন্য। আসলে নিজের কাজের জন্য হলেও জীবনটাকে পরিপূর্ণভাবে উপভোগ করতে হবে। দীর্ঘদিন ধরেই আমি কিন্তু যা করা প্রয়োজন. সবকিছু করেছি। পছন্দের মানুষদের সঙ্গে সময় কাটিয়েছি. বিয়ে করেছি. ভ্রমণে গিয়েছি. ঘুমিয়েছি। আমি নিজেকে গড়ে তুলেছি। মানুষ হিসেবে. সর্বোপরি শিল্পী হিসেবে এটা আমাদের জন্য জরুরি। নিজেকে সময় দিতে হবে। আমরা তো সিনেমার কাঁচামাল। পশ্চিমে ব্যাপারগুলো এ রকম নয়। তারা দুই বা তিন বছরে একটি করে ছবি করে। আমাদের মনস্তত্ত্ব বদলাতে হবে। মেঘনা গুলজারের ছবিটা আপনাকে রোমাঞ্চিত করল কেন? ছবিটার সঙ্গে মানুষের যোগ আছে। আমি অনেকবার লক্ষ্মী আগারওয়ালের সঙ্গে দেখা করেছি। আমার টিম আমাকে মেঘনার ছবি সম্পর্কে বলেছিল। মেঘনা নিশ্চিত ভেবেছিলেন যে আমি রাজি হব না। আমি তাঁর সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলাম ঠিকই. কিন্তু সে বিশ্বাসই করতে পারেনি আমি রাজি হয়ে যাব। সে প্রথম দৃশ্যটা যখন আমাকে বলল. আমি তখন রাজি হয়ে গেলাম। আমি গল্প বুঝে ফেলেছিলাম। এটা এমন একটা গল্প. যেটা বলতে পারতে হবে। আমি জানি. মেঘনা এর সঙ্গে কতটা সম্পৃক্ত। পরিচালকের সঙ্গে শিল্পীকেও একাত্ম হতে হবে। এমনকি কলাকুশলীদেরও ছবিটার ব্যাপারে পরিষ্কার ধারণা থাকতে হবে। মেঘনা প্রথম দৃশ্যের বর্ণনা করার পর আমার টিম বলল. পরে জানাচ্ছি। কিন্তু আমি বলেছিলাম. আমি ছবিটা করছি। বিষয়টি এতটাই সহজ ছিল। আমরা অযথাই প্রক্রিয়াগুলোকে জটিল করে তুলি। আমি সবার সঙ্গেই যোগাযোগ করেছি। ছবিটা কেন করছি. সে ব্যাপারে আমি সৎ ছিলাম। নির্মাতাকে যথাযথ প্রতিক্রিয়া জানাতে হবে। যদি কাজের সঙ্গে যুক্ত না হই. তাহলে শুধু শুধু তারিখ নিয়ে ঝুলিয়ে রাখব কেন? সুপারহিরোর চরিত্রে কাজ করার কথা শোনা যাচ্ছিল...হ্যাঁ. করছি। আশা করি কাজটা হবে। অবশ্য এখনো কোনো চিত্রনাট্য হয়নি। আমি আর আমার এক বন্ধু সেটা তৈরি করছি। বিমানে বসে বসে তাঁর সঙ্গে কাজটা নিয়ে কথা বলছিলাম। সুপারহিরোর একটা ছবি করব—এটা ঠিক আছে. কিন্তু জিনিসটা এখনো অঙ্কুরেই রয়েছে। আপনি তো প্রযোজক হয়ে গেলেন। কিসের তাড়নায়? ছবির বিষয়বস্তু। আমি এমন কাজই করতে চাই. যেটা হয় একটা প্ল্যাটফর্ম হবে. নয়তো কোনো কিছুকে তুলে ধরবে কিংবা বক্তব্য থাকবে। লক্ষ্মী আগারওয়ালের কাহিনিটা সে রকম। জানি না পরের বার কী প্রযোজনায় যাব। আমার তো কোনো প্রযোজনা সংস্থাও নেই। সংস্থা হলে নাম কী দেবেন? ‘কা’। মিসরীয় ভাষায় এর মানে ‘আত্মা’। কোনো কিছুর মূল অংশ। বিয়েতে ফিরে যাই। অভিনেত্রীর বৈবাহিক অবস্থা ছবির ওপর কোনো প্রভাব ফেলে?আশা করি পড়বে। সবাই বিবাহিত। তাতে কি ইন্ডাস্ট্রি থেমে গেছে। তার মানে কি আমাদের কোনো মেয়ে বিয়ে করতে বাকি আছে? আমার মনে হয়. এটা বক্স অফিস যতটা না চাপিয়ে দেয়. তার থেকে যার যার ব্যক্তিগত ব্যাপার। কোনো অভিনয়শিল্পী যদি বিয়ের পর কাজ না করে. সেটা তার সিদ্ধান্ত। যদি কেউ কাজ না করে. বুঝতে হবে সে ক্লান্ত। জীবনটা যাপন করতে চায় এবং পরিবারকে সময় দিতে চায়। কিন্তু আমি নিশ্চিত. নারীরা ও রকম করে ভাবে না। যখন আপনি অমন ভাববেন না. ব্যাপারগুলো সে রকম হবে না। বিয়ের পরে আপনার জীবনে কোনো পরিবর্তন এসেছে? আমি অনেক বেশি বৈষয়িক হয়েছি। নিরাপদ বোধ করি। যখন আপনি একটা সম্পর্কের মধ্যে থাকবেন. তখন একটা অসহায়ত্ব কাজ করবে আপনার ভেতরে; যত দিনই প্রেম করেন না কেন। আমার ধারণা বয়ফ্রেন্ড-গার্লফ্রেন্ড শব্দগুলো অর্থহীন। ক্ষেত্রবিশেষে বিয়ের তুলনায় এগুলোর কোনো ভার নেই। এখন আমরা যখন একে অন্যের দিকে তাকাই. সেখানে দায়িত্ববোধের ব্যাপার থাকে। এটা কি কেবলই ভাবনার বদল নয়? বিয়ের দিন রণবীর যেভাবে আমার হাত ধরেছিল. সেটা ছিল অন্য যেকোনো সময়ের থেকে আলাদা। কিংবা হতে পারে বিষয়টি আমার মাথার মধ্যে ঘটছে। সেখানে একটা দায়িত্ববোধের ব্যাপার ছিল. যেটা আমি ব্যাখ্যা করতে পারব না। এখন যা কিছু করি. ‘আমরা’ করি। তার মানে এই নয় যে আপনি আপনার ব্যক্তিত্ব ও স্বাধীনতা ভুলে যাবেন। কিন্তু ভালো লাগছে যে আমি একই ঘরে একজনের সঙ্গে থাকছি। এমনকি ছবির প্রচারণার কাজে সে দৌড়ে বেড়াচ্ছে. কিন্তু রাতে ঠিকই আমার কাছে ফিরছে। ভোর চারটায় হলেও তো আসছে। সম্পর্কের মধ্যে থাকলে সেটা সম্ভব ছিল না। আমরা কখনোই লিভ টুগেদার করতে চাইনি। দেখেন. আমরা একে অন্যকে বিয়ে করেছি না করিনি? সেই দিক থেকে হয়তো আমরা সেকেলে। প্রেমিক-প্রেমিকা হিসেবে আমরা একত্রে ছিলাম. বেড়াতে গিয়েছি. ছুটি কাটিয়েছি একত্রে. কিন্তু আবার যার যার বাড়িতে ফিরতে হয়েছে। আমরা পরিষ্কার ছিলাম যে আমাদের বিয়ের পরে একত্রে থাকতে হবে। এখন আমরা একে অন্যের খোঁজ-খবর নিতে পারি. দেখতে পারি কে কী করছি। রাতে সে কী খাবে (হেসে) ...সব। একসঙ্গে থাকার বিষয়টি কেমন. একটু বিস্তারিত বলবেন? একত্রে থাকাটা খুবই নান্দনিক। আমি নিশ্চিত নিন্দুকেরা বলবে কেবল তো বিয়ে করেছ. ১৫-২০ বছর অপেক্ষা করো. তারপর বুঝবে কী হয়। এখনকার কথা বলি. এটাই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ অনুভূতি। আমার একত্রে থাকতে ভালো লাগছে. কারণ কাজের জন্য আমি অনেক কম বয়সে ঘর ছেড়েছিলাম। অনেক বন্ধু বলেছে. তারা অত জলদি বাড়ি থেকে বেরোতে চায় না। আমি ছিলাম উল্টো। বরং পরিবারকে বলেছিলাম. আমাকে যেতে হবে। যখন প্রেম করছিলাম. ওর পরিবারের সঙ্গে সময় কাটিয়েছি বা আমার বাবা-মায়ের সঙ্গে বেঙ্গালুরুতে গিয়েছিলাম। সকালে ঘুম থেকে উঠে একটা ভালো সময় পার করতে চেয়েছি. যার সঙ্গে কথা বলব. নাশতা করব. সেটা মনের মতো কেউ হওয়া চাই। অথচ ১৫ বছর ধরে আমি একা। রণবীর ফিল্মফেয়ারের সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন. তিনি বিয়ে করতে প্রস্তুত ছিলেন। আপনি কেন ১০ বছর সময় নিলেন?এটা তো তাঁর ওপর ছিল না। বিষয়টি হচ্ছে আমি প্রতিশ্রুতি দিতে প্রস্তুত কি না। আমার আগেও কয়েকটি সম্পর্ক ছিল এবং কয়েকবার মন ভেঙেছে। যখন রণবীরের সঙ্গে দেখা হলো. এলোমেলো অবস্থায় ছিলাম। সম্পর্কহীন অবস্থায় ছিলাম। কিছুদিনের জন্য একা থাকতে চেয়েছিলাম। ভেবেছিলাম আর খুচরা প্রেম করব না। ১৩ বছর বয়স থেকে প্রেম করছি. বিয়ে করে ফেলেছি. এখন সেসব বলাই যায়। কোনোটা এক. কোনোটা দুই. আবার কোনোটা তিন বছর টিকেছিল। কাউকে ভালো লাগলে নিজেকে উজাড় করে দেওয়া যায়। ২০১২ সালে আমি যে সম্পর্কটি থেকে বিচ্ছিন্ন হলাম. মনে হচ্ছিল আমি শেষ। আমাকে এই খুচরা প্রেম বাদ দিতে হবে। আমি আর কাউকে জবাবদিহি করতে পারছিলাম না। ২০১২ সালে যখন রণবীরের সঙ্গে দেখা হলো. তাঁকে বললাম. আমার মনে হয় আমাদের দুজনের কোথাও একটা যোগসূত্র রয়েছে। আমি তোমাকে পছন্দ করি আর ব্যাপারটা লুকিয়ে রাখতে চাই না। কিন্তু কোনো প্রতিশ্রুতিতে যাব না। আমি যদি আর কারও সঙ্গে সম্পৃক্ত হই. সেটা আমি চালিয়ে যাব। কিন্তু কিছুই হলো না। আমি আর কিছুই করতে পারলাম না। এমনকি আবেগের বশে এই সম্পর্কেও উতলা হয়ে যাইনি। কিন্তু ছয় মাস আগের কথা বলতে পারি. নিজেকে আর সামলে রাখতে পারিনি। তখন ভাবছিলাম. বিয়ে করে ফেলব নাকি? তখন আর অনিশ্চয়তা ছিল না। ছয় বছরের সম্পর্ক. কত চড়াই-উতরাইয়ের ভেতর দিয়ে যেতে হয়েছে আমাদের। কিন্তু বিচ্ছিন্ন হইনি। কোনো বড় ধরনের ঝামেলা হয়নি। আমরা ঝগড়া করেছি। কিন্তু নিজেদের সঙ্গে জড়িয়েই ছিলাম। আমরা বাগদান করেছিলাম চার বছর আগে। বলেন কী!কেউ জানে না ব্যাপারটা। চার বছর আগে আমাদের বাগদান সম্পন্ন হয়। আমাদের দুজনের মা-বাবা ও বোনেরা ছাড়া বিষয়টি আর কেউ জানত না। বলছিলেন আপনার অনেকবার বিশ্বাস ভেঙেছে। এতে কি ঘৃণা তৈরি হয়নি? হয়েছে। কিন্তু বিয়ে সেটাকে বদলে দিয়েছে। যখন কাউকে নিজের শতভাগ উজাড় করে দিয়ে বারবার মন ভাঙবে. সেটা জীবনের ওপর প্রভাব ফেলবেই। এটা পরবর্তী সম্পর্কের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। রণবীরের জন্য এসব সামলানো কষ্টকর ছিল। আমরা যে এসব পরিস্থিতি থেকে উতরে গেছি. সেটা কেবল তাঁর কারণে। ভালোবাসায় আস্থা হারাইনি. কিন্তু নিরাপত্তাহীনতা ছিল আমার। সত্যিকারের ভালোবাসা পেলেও সন্দেহ হতো। কারণ. আবারও যদি আগের ঘটনা ঘটে. আপনি সহ্য করতে পারবেন না। প্রত্যেকটা সম্পর্ক ও মানুষ যে ভিন্ন. সেটা আমাকে বোঝাতে রণবীরের অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে। আপনারা দুজন সৃজনশীলভাবে একে অপরকে প্রভাবিত করেন কীভাবে? আমরা একে অন্যের ওপর সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিই না। আমরা নিজেদের কাজ নিয়ে কথা বলি। কিন্তু সে তার সিদ্ধান্ত নেয়. আমি আমারটা। শিল্পী হিসেবে আমরা ভিন্ন। আমাদের পর্দায় উপস্থিতিটাও ভিন্ন। সে কোনো সিনেমা বা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়ার ব্যাপারে আমার পরামর্শ নেয়। যত বড় প্রতিষ্ঠানের সঙ্গেই কাজ করুক না কেন. স্ত্রী হিসেবে আমার বিষয়টিও সে মাথায় রাখে। রিমোট কন্ট্রোল কার হাতে থাকে? আমার হাতে। জানি. জিজ্ঞেস করলে সেও একই কথা বলবে। আপনি তাঁর ফোনের পাসওয়ার্ড জানেন? উউউম. না। মানে আপনি তাঁর ফোন ঘাঁটেন না? দরকার হয় না। রণবীর বলেছিলেন. বিয়ের সবকিছু আপনিই করেছিলেন। বিয়ের কথা প্রথম ভেবেছিলেন কবে?যখন পাঁচ বছরের শিশু. তখন ভেবেছি। সব মেয়েরই স্বপ্ন এটা। কিন্তু আমি তাকে বিয়ের সিদ্ধান্ত নিই ‘পদ্মাবত’ ছবিতে কাজ করার পর। আমরা বুঝতে পারছিলাম. এ রকম কিছু একটা হতে যাচ্ছে। কেবল সময়ের জন্য অপেক্ষা। যখন ছবিটা মুক্তি পেল. মনে হলো সময় হয়েছে। সে প্রস্তুতই ছিল. কিন্তু বেশ কিছু কাজের ব্যাপারে কথা দিয়ে ফেলেছিল। সময় বের করতে পারবে কি না. ঠিক ছিল না। কিন্তু সেও যথেষ্ট সহযোগিতা করেছে। রণবীরের পরিবারের সঙ্গে আপনার সম্পর্ক কেমন? মজার। তার বাবার কাছে আমি মেয়ের মতো। কিন্তু তার মায়ের কাছে আমি বন্ধু। মেয়েও বটে। আমি তো তাঁর কাছে আমার একেবারে গোপন কথাটিও বলতে পারি। বিষয়টা বোঝাতে যাওয়া বোকামি হয়ে যাবে। মানে. তার কাছে আমার লুকোছাপার কিছু নেই। তাঁরা আমার বাবা-মায়ের মতো এখন. পরিবারের অংশ। আংকেল খুবই আবেগপ্রবণ. খুব সহজেই ভেঙে পড়েন। মা হচ্ছেন আসল মজার মানুষ। সকাল আটটা পর্যন্ত পার্টি চললেও তিনি থাকতে পারেন। আপনার বিয়ের একটা ঘটনা বলেন. যেটা কেউ জানে না। লোকে বলেছে. আমাদের বিয়ের ছবিগুলো জাদুর মতো। বিয়েটা আসলেই জাদুর মতো ছিল। কোথাও এতটুকু ছন্দপতন হয়নি। ইতালিতে সেদিন বৃষ্টি হচ্ছিল। নভেম্বরের ১৩ তারিখ সকালে যখনই আমার হাতে মেহেদি পরানো শেষ হলো. অমনি সূর্য উঠে গেল। সঙ্গে সঙ্গে পরিষ্কার নীল আকাশ। বৃষ্টির কারণে উদ্বিগ্ন ছিলেন? না। কারণ. আমরা যখন কোনো কিছু বিশ্বাস করি. আমাদের ভেতরে একধরনের শক্তি তৈরি হয়। নভেম্বরের ১২ তারিখ রাত থেকে বৃষ্টি হচ্ছিল। রাতে আমরা স্বাভাবিকভাবেই খেতে বসেছি। আবহাওয়া নিয়ে কোনো মাথাব্যথা ছিল না। আমাদের পরিচ্ছন্ন আবহাওয়া দরকার ছিল ১৩ থেকে ১৫ নভেম্বর। আমরা সেটা পেয়েছি। এমনকি ১৬ তারিখে যখন অতিথিরা বিদায় নিচ্ছিলেন. সেদিন ঠিকই বৃষ্টি হচ্ছিল। আচ্ছা. আপনাকে বলা রণবীরের সবচেয়ে চমৎকার কথাটা কী ছিল? অনেক কথাই বলেছে। সত্যি বলতে. প্রশংসা করতে সে কার্পণ্য করে না। এটা তাকে ভালোবাসার অন্যতম প্রধান কারণ। বছর কয়েক আগে আমি যখন তার চেয়ে বেশি রোজগার করছিলাম. এ নিয়ে তার কোনো প্রতিক্রিয়াই ছিল না. এ নিয়ে কখনো কোনো কথাই বলেনি। এমনকি তার আচরণেও সামান্যতম পরিবর্তন আসেনি। সম্প্রতি সে ফিল্মফেয়ারের সাক্ষাৎকারে বলল. আমি তাকে বৈষয়িক করেছি। এই কথাটা ভালো লেগেছে।
1,572,771
2019-01-01
রোনালদোকে ঘর থেকে সরিয়ে দিলেন এমবাপ্পে!
null
খেলা ডেস্ক
null
https://www.prothomalo.com/sports/article/1572766/%E0%A6%B0%E0%A7%8B%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%A6%E0%A7%8B%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%98%E0%A6%B0-%E0%A6%A5%E0%A7%87%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%B8%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A7%87-%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%A8-%E0%A6%8F%E0%A6%AE%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%AA%E0%A7%87
sports
online
4
ফুটবল
ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর প্রতি তরুণ ফরাসি তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পের মুগ্ধতার কথা নতুন নয়। এমনকি এত দিন এমবাপ্পের নিজের ঘরেও অগণিত রোনালদোর পোস্টার শোভা পেত। 'এত দিন' বলতে হচ্ছে. কেননা নতুন বছর উপলক্ষে নিজের ঘর থেকে 'আইডল' রোনালদোর পোস্টারগুলোকে সরিয়ে নিজের পোস্টার লাগিয়েছেন তিনি! ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর প্রতি তরুণ ফরাসি তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পের মুগ্ধতার কথা নতুন নয়। এমনকি এত দিন এমবাপ্পের নিজের ঘরেও অগণিত রোনালদোর পোস্টার শোভা পেত। 'এত দিন' বলতে হচ্ছে. কেননা নতুন বছর উপলক্ষে নিজের ঘর থেকে 'আইডল' রোনালদোর পোস্টারগুলোকে সরিয়ে নিজের পোস্টার লাগিয়েছেন তিনি! ২০১৮ সালটা বলতে গেলে স্বপ্নের মতো কেটেছে ফরাসি তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পের। বিশ্বকাপ জিতেছেন. হয়েছেন বিশ্বকাপের সেরা তরুণ খেলোয়াড়। পিএসজির হয়ে লিগ. কাপ. সুপার কাপ জিতেছেন. নিজে হয়েছেন ফ্রান্সের বর্ষসেরা খেলোয়াড়। সব অর্জনের মুহূর্তগুলোকে নিজের কাছে সব সময় জীবন্ত করে রাখতেই কি না. নিজের ঘরের দেয়ালগুলো শুধুই নিজের পোস্টার দিয়ে ভরে ফেলেছেন তিনি। সরিয়ে ফেলেছেন দেয়ালে টাঙানো আগের পোস্টারগুলোকে। আগের বেশির ভাগ পোস্টারই ছিল ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর! গতকাল ইনস্টাগ্রামে দেওয়া এক পোস্টের মাধ্যমে সবাইকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন এমবাপ্পে। সেই পোস্টের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া ছবিতে দেখা গেছে. এমবাপ্পের ঘরে এখন আর রোনালদোর ঠাঁই নেই। রোনালদোর পোস্টারগুলোকে সরিয়ে ঘরে জায়গা করে নিয়েছেন তিনি নিজেই!বেশ অনেক দিন আগে এমবাপ্পে নিজের ইনস্টাগ্রামে একই রকম একটা ছবি পোস্ট করে সবাইকে জানিয়েছিলেন রোনালদোর প্রতি তাঁর মুগ্ধতার কথা। সে ছবিতে দেখা গিয়েছিল. নিজের ঘরে টাঙানো আইডল রোনালদোর পোস্টারগুলোর দিকে স্বপ্নিল চোখে তাকিয়ে রয়েছেন তিনি। গতকাল ওই একই ছবি পোস্ট করেছেন তিনি. তবে রোনালদোর পোস্টারের বদলে ছিল নিজের পোস্টার।নতুন পোস্টারগুলোর কোনোটিতে দেখা যাচ্ছে সতীর্থ নেইমারের সঙ্গে পিএসজির লিগ জয় উদ্‌যাপন করছেন তিনি. কোনোটায় দেখা যাচ্ছে সদ্য জেতা বিশ্বকাপ ট্রফিতে চুমো এঁকে দিচ্ছেন তিনি. কোনোটায় দেখা যাচ্ছে টাইম ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদে তাঁর চেহারা। মেসি-রোনালদো নয়. ২০১৯ সালটা হতে যাচ্ছে এমবাপ্পের মতো তরুণদের— নতুন বছরে পা দিতে গিয়ে এমবাপ্পে কি অনুচ্চারে মেসি-রোনালদোদের ক্যারিয়ারের শেষের শুরুটাই বলে দিচ্ছেন?
1,572,766
2019-01-01
মমতাকে প্রধানমন্ত্রী দেখতে চান তিনি
null
প্রতিনিধি. কলকাতা
https://www.prothomalo.com/international/article/1572765/%E0%A6%AE%E0%A6%AE%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%96%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%A8-%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A6%BF
international
online
4
ভারত|মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়|পশ্চিমবঙ্গ
নতুন বছরে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান তৃণমূল সাংসদ ইদ্রিস আলী। তিনি বলেছেন. আগামী লোকসভা নির্বাচনে মমতাকে প্রধানমন্ত্রী করার জন্য জোর ডাক দিতে হবে। গতকাল সোমবার কলকাতায় অল ইন্ডিয়া মাইনরিটি ফোরামের ডাকা এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন সাংসদ ইদ্রিস আলী। ১৯ জানুয়ারি মমতা কলকাতার ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে বিজেপিবিরোধী রাজনৈতিক দলের মহাসমাবেশের ডাক দিয়েছেন। সেই মহাসমাবেশে সবাইকে উপস্থিত হয়ে মমতাকে প্রধানমন্ত্রী করার দাবি জোরদারের আহ্বান জানিয়েছেন ইদ্রিস আলী। তিনি বলেন. ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই মুহূর্তে দেশের সেরা মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কাজ আজ বিশ্বব্যাপী সমাদৃত। আমরা মনে করি. এ বছরের লোকসভা নির্বাচনে তিনিই হবেন দেশের প্রধানমন্ত্রী। আর এ কারণে ১৯ জানুয়ারির ব্রিগেড সমাবেশ সফল করতে হবে। জোরদার করতে হবে মমতাকে প্রধানমন্ত্রী করার দাবিকে।’ ইদ্রিস আলী বলেন. ১৯ জানুয়ারির এই মহাসমাবেশ প্রমাণ করবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বেই এ বছরে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার গঠিত হবে। তিনিই হবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। ইদ্রিস আলী আরও বলেছেন. ‘কেন্দ্রীয় বিজেপি সরকার যা করছে. তা সংবিধানবিরোধী। তিন তালাকসহ অন্যান্য ধর্মীয় বিষয়ে হস্তক্ষেপকে আমরা মেনে নিতে পারি না।’ সভায় মাইনরিটি ফোরামের মুখপাত্র এম এ আলী বলেন. দেশপ্রেমিক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে সবাইকে নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন. তাঁর বিকল্প এখনো তৈরি হয়নি। মানুষের স্বার্থেই তিনি রেলমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগও করেছেন। মানুষের কল্যাণে মমতা যেসব প্রকল্প গ্রহণ করেছেন. তা গোটা দেশ এবং বিদেশে দৃষ্টান্ত হয়ে রয়েছে। ভারতের লোকসভায় রয়েছে ৫৪৩টি আসন। সর্বশেষ ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গের ৪২টি আসনের মধ্যে মমতা জিতেছিলেন ৩৪টিতে। কংগ্রেস ৪টি. বাম দল ২টি এবং বিজেপি ২টি আসনে জিতেছিল। এবার অবশ্য মমতা ঘোষণা দিয়েছেন. রাজ্যের ৪২টি আসনেই জিতবেন তাঁরা। কিন্তু এই ৪২টি আসনে জিতে কি মমতা প্রধানমন্ত্রীর পদ পাবেন. তা–ই নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে রাজনৈতিক মহলে। কেননা. মমতা ছাড়াও এই পদের দাবিদার রয়েছেন অন্ধ্র প্রদেশের তেলেগু দেশম পার্টির নেতা ও মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু. উত্তর প্রদেশের বহুজন সমাজ পার্টির নেত্রী কুমারী মায়াবতী. মহারাষ্ট্রের জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টির প্রধান শারদ যাদব. উত্তর প্রদেশের সমাজবাদী পার্টির নেতা মুলায়ম সিং যাদবসহ আরও অনেকে। আর কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী তো আছেনই। যদিও মমতার এই মহাসমাবেশে থাকবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের বাম দল সিপিএম. সিপিআই ও কংগ্রেস। ফলে. এই মহাসমাবেশ থেকে বিরোধীরা মোদিকে হারাতে একজোট হতে পারবে কি না. তা নিয়েও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে রাজনৈতিক মহলে। কারণ. মোদি বিরোধী দলের মধ্যে নেতৃত্বের প্রশ্নে এখনো সমঝোতা হয়নি। তবে প্রক্রিয়া চলছে।
1,572,765
2019-01-01
বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শেখ হাসিনার শ্রদ্ধা
null
বাসস
https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1572764/%E0%A6%AC%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A6%AC%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A7%81%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%B6%E0%A7%87%E0%A6%96-%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A6%BE
bangladesh
online
4
শেখ হাসিনা|রাজনীতি|একাদশ সংসদ নির্বাচন|আওয়ামী লীগ
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। প্রধানমন্ত্রী ও দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনা এ উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। প্রধানমন্ত্রী এ সময় সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। পরে তিনি আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে দলের সভানেত্রী হিসেবে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এ সময় বঙ্গবন্ধুর ছোট মেয়ে শেখ রেহানা এবং শেখ হাসিনার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল উপস্থিত ছিলেন।
1,572,764
2019-01-01
চারজন গেল কোথায়?
null
নিজস্ব প্রতিবেদক. ঢাকা
১২
https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1572762/%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%9C%E0%A6%A8-%E0%A6%97%E0%A7%87%E0%A6%B2-%E0%A6%95%E0%A7%8B%E0%A6%A5%E0%A6%BE%E0%A7%9F
bangladesh
online
4
অপরাধ|মানবাধিকার|পুলিশ|অপহরণ
রাজধানী ঢাকার ফার্মগেটে বাস থেকে নামিয়ে চারজনকে সাদা পোশাকধারী পুলিশ নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ করেছেন তাঁদের পরিবারের সদস্যেরা। পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে. পুলিশ ওই চারজনকে ধরার বিষয়টি অস্বীকার করছে। আজ মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সন্তানদের ফিরে পেতে মানবাধিকার সংগঠনগুলোকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন নিখোঁজ এই চারজনের পরিবারের সদস্যেরা। গত ২৯ ডিসেম্বর ওই চারজন ছাত্ররা নিখোঁজ হন বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। এই চারজন হলেন. এশিয়ান ইউনিভার্সিটির বাংলা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র আবু খালেদ মোহাম্মদ জাবেদ ( ২৫). স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটির ইংরেজি বিভাগের ছাত্র বোরহান উদ্দীন (২৬). মানারাত ইউনিভার্সিটির ফার্মেসির শেষ বর্ষের ছাত্র রেজাউল খালেক (২৪) ও ঢাকা ইউনানি আয়ুর্বেদিক মেডিকেল কলেজের সাবেক ছাত্র সৈয়দ মমিনুল হাসান (২৭)। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পরিবারের সদস্যেরা বলেন. গত ২৯ ডিসেম্বর রাজধানীর শাহবাগে আজিজ সুপার মার্কেটে কেনাকাটা সেরে বাড়ি ফেরার সময় ফার্মগেটে বাস থামিয়ে জাবেদ. বোরহান. রেজাউল ও মমিনুলকে আটক করে সাদা পোশাকধারী পুলিশ। বাসে থাকা ওই ছাত্রদের অন্য এক বন্ধু বিষয়টি পরিবারকে জানান। ঘটনার পর তাঁরা তেজগাঁও থানাসহ পার্শ্ববর্তী সব থানা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। কিন্তু সবাই আটকের বিষয়টি অস্বীকার করেন। তবে তাঁরা খবর পেয়েছেন. তাঁদের সন্তানেরা পুলিশের হেফাজতেই আছেন। এই ঘটনার পর তিনদিন পার হলেও তাঁদের আদালতে তোলা হয়নি। এমন অবস্থায় সন্তানদের ফিরে পেতে মানবাধিকার সংগঠন. সাংবাদিক. প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আকুল আবেদন জানিয়েছেন তাঁরা।
1,572,762
2019-01-01
জাপানে নববর্ষের জমায়েতে উঠে গেল গাড়ি. আহত ৯
null
অনলাইন ডেস্ক
null
https://www.prothomalo.com/international/article/1572758/%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%87-%E0%A6%A8%E0%A6%AC%E0%A6%AC%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%9C%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A7%9F%E0%A7%87%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%89%E0%A6%A0%E0%A7%87-%E0%A6%97%E0%A7%87%E0%A6%B2-%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A7%9C%E0%A6%BF-%E0%A6%86%E0%A6%B9%E0%A6%A4-%E0%A7%AF
international
online
4
এশিয়া|জাপান|ইংরেজি নববর্ষ
জাপানের রাজধানী টোকিওর একটি জনপ্রিয় সড়কে চলছিল ২০১৯ সালকে বরণ করে নেওয়ার আয়োজন। বহু মানুষ সমবেত হন সেই আয়োজনে। এর মধ্যেই নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে আসা মানুষের ওপর দ্রুতগতিতে গাড়ি তুলে দেন এক ব্যক্তি। এতে নয়জন আহত হয়েছেন। পুলিশের বরাত দিয়ে এএফপির আজ মঙ্গলবারের খবরে বলা হয়েছে. আহত ব্যক্তিদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। পুলিশের এক মুখপাত্র বলেন. মানুষকে হত্যা করার উদ্দেশ্য নিয়ে ২১ বছর বয়সী কাজুহিরো কুসাকাবি ১২টা বাজার মাত্র ১০ মিনিট আগে টোকিওর ফ্যাশন ডিস্ট্রিক্ট হারাজুকুর তাকাশিতা স্ট্রিটে জনতার ভিড়ের মধ্যে একটি গাড়ি তুলে দেন। জাতীয় সম্প্রচার কেন্দ্র এনএইচকের খবরে বলা হয়. কুসাকাবি পুলিশকে বলেছেন যে মানুষ হত্যার উদ্দেশ্যে তিনি গাড়ি নিয়ে হামলা চালিয়েছেন। এ ব্যাপারে বিস্তারিত আর কিছু জানানো হয়নি। পুলিশের ওই মুখপাত্র আরও বলেন. হামলার ঘটনায় এক কলেজছাত্র আহত হন। তাঁর অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। হত্যাচেষ্টার অভিযোগে কুসাকাবিকে আটক করা হয়েছে। প্রসঙ্গত. নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর অনুষ্ঠান উপলক্ষে ওই সড়কে আগে থেকেই গাড়ি চলাচল নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়। এরপরও ইচ্ছাকৃতভাবে কুসাকাবি গাড়ি নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে হামলার ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে পুলিশের দাবি।
1,572,758
2019-01-01
নবনির্বাচিতদের শপথ বৃহস্পতিবার
null
নিজস্ব প্রতিবেদক. ঢাকা
৩৬
https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1572757/%E0%A6%A8%E0%A6%AC%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%9A%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B6%E0%A6%AA%E0%A6%A5-%E0%A6%AC%E0%A7%83%E0%A6%B9%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AA%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B0
bangladesh
online
4
নির্বাচন|সরকার|একাদশ সংসদ নির্বাচন|আওয়ামী লীগ|বিএনপি
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ীরা সাংসদ হিসেবে বৃহস্পতিবার (৩ জানুয়ারি) শপথ নেবেন। আজ মঙ্গলবার তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান। মন্ত্রী বলেন. কাল বুধবার নির্বাচিতদের নামের গেজেট প্রকাশ হবে। সচিবালয়ের গণমাধ্যম কেন্দ্রে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের সংলাপে অংশ নেন তথ্যমন্ত্রী। গত ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট ২৮৮টি আসনে জয়লাভ করে। আওয়ামী লীগ একাই জিতেছে ২৫৭টি আসনে। একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ায় দলটি টানা তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠন করতে যাচ্ছে। এই নির্বাচনে বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোট পেয়েছে ৭টি আসন। বিএনপি এককভাবে পেয়েছে ৫টি। নির্বাচনে এককভাবে ২২টি আসন পেয়ে দ্বিতীয় বৃহত্তম দল হয়েছে জাতীয় পার্টি। একাদশ সংসদে তারাই বিরোধী দল হতে যাচ্ছে। বিএনপি জোটের সাংসদেরা শপথ না–ও নিতে পারেন বলে জানা গেছে। ইতিমধ্যে তাঁরা ভোটের ফল প্রত্যাখ্যান করেছেন। আওয়ামী লীগের নেতারা বলছেন. নির্বাচিতরা শপথ নেওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যে নতুন মন্ত্রিপরিষদ গঠন হবে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা টানা তৃতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন। সচিবালয়ে ওই অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন. নতুন সরকারের বড় চ্যালেঞ্জ হবে ধারাবাহিক উন্নয়নকে রক্ষা করে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়া এবং দুর্নীতি ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া। সুশাসন প্রতিষ্ঠায় জোর দেওয়া। তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন. ‘নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করে বিএনপি–জামায়াত ঐক্যফ্রন্ট ষড়যন্ত্রের বীজ বপন করছে. যা অশনিসংকেত। নির্বাচনে হারলে প্রত্যাখ্যান করা বিএনপি–জামায়াতের বদঅভ্যাস। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে মুসলিম লীগের মতো বিএনপি–জামায়াতেরও অবসানের সূচনা ঘটল।’
1,572,757
2019-01-01
শীতে আস্থা রাখুন শতভাগ শুদ্ধ পেট্রোলিয়াম জেলিতে
null
বিজ্ঞাপন
null
https://www.prothomalo.com/life-style/article/1572756/%E0%A6%B6%E0%A7%80%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%86%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A6%BE-%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%96%E0%A7%81%E0%A6%A8-%E0%A6%B6%E0%A6%A4%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%97-%E0%A6%B6%E0%A7%81%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A7-%E0%A6%AA%E0%A7%87%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%8B%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%AE-%E0%A6%9C%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%87
life-style
online
4
রূপচর্চা
শীতে চারদিক ঢেকে থাকে কুয়াশার চাদরে। কিন্তু আবহাওয়া হয়ে যায় শুষ্ক। এ কারণে ত্বকে দেখা দেয় রুক্ষতা। হাড়কাঁপানো শীত থেকে বাঁচতে সোয়েটার. জ্যাকেট কিংবা চাদর গায়ে আপনি অনায়াসে বেরিয়ে যেতে পারেন বাইরে। এতে হয়তো আপনার ঠান্ডা কম লাগবে. কিন্তু ত্বকের যত্নে? শীতের শুষ্কতায় ত্বকের যত্নে প্রয়োজন এমন কিছু. যা ত্বককে রাখবে সুস্থ। শীতের স্বভাব ঠান্ডা হলেও মেজাজ খুব কড়া। শীতের কড়া মেজাজের দেখা মেলে ফাটা ঠোঁটের মলিনতায়. নির্জীব ত্বকের শুষ্কতায়. কাটাছেঁড়ার ব্যথায়। এসব ছোটখাটো সমস্যাই হতে পারে ত্বকের বড় অসুখের কারণ। তাই ত্বকের সুরক্ষায় প্রয়োজন শতভাগ শুদ্ধ পেট্রোলিয়াম জেলি। ত্বকের সুস্থতাকে মাথায় রেখে পেট্রোলিয়াম জেলি কেনার সময় গুরুত্ব দিতে হবে পণ্যের উপাদানের বিশুদ্ধতার প্রতি। এ ক্ষেত্রে ট্রিপল পিউরিফাইড. হাইপো অ্যালার্জিনিক ও নন-কমেডোজেনিক (যা ত্বকের লোমকূপ বন্ধ করে না) পেট্রোলিয়াম জেলিকে প্রাধান্য দেওয়া উচিত. যা আপনার ত্বকের পক্ষে সম্পূর্ণ নিরাপদ। শতভাগ শুদ্ধ পেট্রোলিয়াম জেলি মূলত প্রাকৃতিক তেলের এমন একটি বিশুদ্ধ মিশ্রণ. যা ত্বকের কোষগুলোর মধ্যে একটি বাড়তি লেয়ার তৈরি করে এবং ত্বকে ময়েশ্চার লক করে। আর এভাবেই পেট্রোলিয়াম জেলি ত্বকের স্বাভাবিক রিকভারি সিস্টেমকে ত্বরান্বিত করে ত্বককে শুষ্কতা ও রুক্ষতা থেকে সুস্থ হতে সাহায্য করে। শুধু তা–ই নয়. এই জেলি ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা. যেমন: অল্প কাটাছেঁড়া. পা ফাটা. ঠোঁট ফাটার মতো সমস্যা দ্রুত সারিয়ে তোলে। শীতকালে ত্বকের সুস্থতায় তাহলে শুদ্ধ পেট্রোলিয়াম জেলির বিকল্প নেই। চলুন জেনে নিই শুদ্ধ পেট্রোলিয়াম জেলির নানামাত্রিক ব্যবহার। • রাতে পেট্রোলিয়াম জেলি মেখে ঘুমালে ছোটখাটো কাটাছেঁড়া স্বাভাবিকের চেয়ে দ্রুতই সুস্থ হয়। • অল্প পুড়ে যাওয়া জায়গায় লাগালে পেট্রোলিয়াম জেলি প্রথমে একটি লেয়ার তৈরি করে আর্দ্রতা রক্ষা করায় পোড়া দ্রুত সেরে ওঠে। • নখ ভাঙা কিংবা নখের আশপাশে চামড়া উঠে গেলে তা থেকে রক্ষা পেতে এবং নখকে শক্ত করতে পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করতে পারেন। • পারফিউম দেওয়ার আগে হাতে বা কানের পেছনে পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করে তারপর সেখানে পারফিউম স্প্রে করুন। এভাবে পারফিউমের সুগন্ধ দীর্ঘস্থায়ী করা যায়। • মেকআপ রিমুভার হিসেবে পেট্রোলিয়াম জেলি খুব ভালো কাজ করে।
1,572,756
2019-01-01
নতুন বছরে ওয়ার্নারের দুঃখ ভোলাচ্ছে দারুণ এক সুখবর
null
খেলা ডেস্ক
null
https://www.prothomalo.com/sports/article/1572752/%E0%A6%A8%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%A8-%E0%A6%AC%E0%A6%9B%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A6%93%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%A6%E0%A7%81%E0%A6%83%E0%A6%96-%E0%A6%AD%E0%A7%8B%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%9A%E0%A7%8D%E0%A6%9B%E0%A7%87-%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%81%E0%A6%A3-%E0%A6%8F%E0%A6%95-%E0%A6%B8%E0%A7%81%E0%A6%96%E0%A6%AC%E0%A6%B0
sports
online
4
ক্রিকেট
২০১৮ সালের সব দুঃখ ওয়ার্নার ভুলবেন দারুণ এক সুখবরে ২০১৮ সালের সব দুঃখ ওয়ার্নার ভুলবেন দারুণ এক সুখবরে নতুন বছর শুরু হওয়ার ঠিক আগে দিয়ে দারুণ একটা সংবাদ পেয়েছেন ডেভিড ওয়ার্নার। আবারও মা হতে চলেছেন তাঁর স্ত্রী ক্যান্ডিস ওয়ার্নার। গত মার্চে কেপটাউন টেস্টে বল টেম্পারিং কেলেঙ্কারিতে ফেঁসে নিষিদ্ধ হওয়ার ঠিক পরপরই গর্ভের সন্তান নষ্ট হয়েছিল ক্যান্ডিসের। নতুন করে বাবা হতে যাওয়ার খবরটি তাই অস্ট্রেলিয়ার সাবেক সহ অধিনায়কের জন্য বড় সুসংবাদই।২০১৮ সালটা ওয়ার্নার পরিবারের জন্য ছিল ভুলে যাওয়ারই। মার্চে ডেভিড ওয়ার্নার বল টেম্পারিং-কাণ্ডে অভিযুক্ত হয়ে ক্রিকেট থেকে এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ হলেন। কঠিন সে সময়টা আরও কঠিন হয়ে যায় স্ত্রী ক্যান্ডিসের গর্ভপাতে। ২০১৮ সালের শেষ সন্ধ্যায় সুখবরটা প্রকাশ করে যেন দুঃসহ বছরটাকে বিদায় দিলেন ক্যান্ডিস।এক টুইট বার্তায় ক্যান্ডিসের ঘোষণায় মিশে ছিল হাঁপ ছেড়ে বাঁচার স্বস্তি. ‘আপনারা এ বছর আমাদের কঠিন সময়ে যে ভালোবাসা ও সমর্থন দিয়ে গেছেন সে জন্য আমরা দুজনই দারুণ কৃতজ্ঞ। অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে জানাতে চাচ্ছি যে ২০১৯ সালে আমাদের ৪ জনের পরিবার পাঁচজনে পরিণত হতে যাচ্ছে।’ ওয়ার্নার দম্পতির দুই সন্তানের নাম আইভি মায়ে ও ইন্ডি রায়ে।নতুন করে বাবা হওয়ার খবরটি ডেভিড ওয়ার্নার এমন একটি সময়ে পাচ্ছেন যখন মার্চের বল টেম্পারিং-কাণ্ডের মূল হোতা হিসেবে তাঁকে চিহ্নিত করার একটা চেষ্টা চলছে। একই সঙ্গে বল টেম্পারিং-কাণ্ডে ফেঁসে যাওয়া অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ ও ক্যামেরন ব্যানক্রফট বল টেম্পারিংয়ের পুরো ঘটনার পরিকল্পনাকারী হিসেবে ডেভিডের নাম বলেছেন। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার তদন্তেও ঘটনার পরিকল্পনাকারী বলা হচ্ছে তাঁকেই। বড় দুঃসময়ে বাবা হওয়ার খবরটি যেন তাঁর কাছে তপ্ত আবহাওয়ায় এক পশলা বৃষ্টির মতোই শান্তি ও উপভোগের।
1,572,752
2019-01-01
নির্বাচনে ভোট দেওয়ার হার স্বাভাবিক ও প্রত্যাশিত: জয়
null
অনলাইন ডেস্ক
৪৪
https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1572749/%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%9A%E0%A6%A8%E0%A7%87-%E0%A6%AD%E0%A7%8B%E0%A6%9F-%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%93%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%95-%E0%A6%93-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%A4
bangladesh
online
4
নির্বাচন|রাজনীতি|একাদশ সংসদ নির্বাচন|নির্বাচন কমিশন|আওয়ামী লীগ|বিএনপি
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে এবং তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি–বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন. এবারের নির্বাচনে ভোট দেওয়ার হার স্বাভাবিক ও প্রত্যাশিত। গতকাল সোমবার রাতে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এ কথা বলেছেন। সংসদ নির্বাচনের চিত্র তুলে ধরে জয় লিখেছেন. নির্বাচন কমিশন আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল ঘোষণা করেছে। ২৯৮ আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ জয়লাভ করেছে ২৬৭টি আসনে। জাতীয় পার্টি জিতেছে ২০টি আসনে. বিএনপি ৭টিতে ও অন্যান্যরা জিতেছে ৪টিতে। তিনটি কেন্দ্রে অনিয়মের অভিযোগে ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে একটি আসনে। এই কেন্দ্রগুলোর ভোট বাতিল করে পুনরায় ভোট গ্রহণ করা হবে। সারা দেশে ১৪টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে। কেন্দ্রগুলোর মোট ভোটপ্রার্থীদের মধ্যে ব্যবধানের চেয়ে কম হওয়ায় আসনগুলোয় ফলাফল ঘোষণা করে দেওয়া হয়েছে। একটি মাত্র আসনের নির্বাচন হয়নি. কারণ সেখানে বর্তমানে শুধু একজন প্রার্থী। সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন. এই নির্বাচনে গড়ে ভোট পড়েছে ৮০ শতাংশ। ১৯৯১ সালে ভোট দেওয়ার হার ছিল ৭৪ দশমিক ৯৬ শতাংশ. ২০০১ সালে ছিল ৭৫ দশমিক ৫৯ শতাংশ আর ২০০৮ সালে সর্বোচ্চ ৮৭ দশমিক ১৩ শতাংশ। তাই বলা যায়. এবারের নির্বাচনের ভোট দেওয়ার হার স্বাভাবিক ও প্রত্যাশিত। তিনি আরও বলেন. ‘এই মুহূর্তে আমার হাতে ভোট দেওয়ার সব পরিসংখ্যান নেই। আমাদের দেশে প্রায় সাড়ে ১৬ কোটি জনসংখ্যার মধ্যে ১০ কোটি ৪০ লাখ নিবন্ধিত ভোটার। এখনো পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য থেকে দেখা যাচ্ছে. আওয়ামী লীগের পক্ষে এবার আনুমানিক পাঁচ কোটি ভোট পড়েছে. যা অনেক দেশের জনসংখ্যা থেকেও বেশি। যাঁরা বলছেন কারচুপি হয়েছে. ভয়ভীতি দেখানো হয়েছে. তাঁরা কি বুঝতে পারছেন. এই নির্বাচন ফলাফল অন্য রকম হওয়ার জন্য বিরোধী দলগুলোর আড়াই কোটিরও বেশি ভোটারের সমর্থন প্রয়োজন ছিল? যা এক কথায় অবিশ্বাস্য।’ কারচুপির ঘটনা ঘটেনি উল্লেখ করে জয় বলেন. ‘আমাদের দেশে এখন ১১টি সংবাদের টেলিভিশন চ্যানেল আছে। প্রতিটি চ্যানেলই আমরা সারা দিন দেখছিলাম। কোনো চ্যানেলেই আমরা কারচুপির কোনো ঘটনা দেখিনি। প্রতিটি কেন্দ্রেই শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ হচ্ছিল আর সব কেন্দ্রের সামনেই ভোটারদের লম্বা লাইন দেখা যাচ্ছিল। আমাদের দেশে বর্তমানে ১৩ কোটির মতো মোবাইল ফোন গ্রাহক আছে। বেশির ভাগ মোবাইলেই ক্যামেরা আছে। যেকোনো অসংগতি খুব সহজেই মানুষ রেকর্ড করতে পারেন। যেই কটি ঘটনা মানুষের চোখে পড়েছে. প্রতিটির ব্যাপারেই নির্বাচন কমিশন ব্যবস্থা নিয়েছে। মোবাইল ইন্টারনেট পুনরায় চালু করার পরও তেমন অনিয়মের প্রমাণ কিন্তু আমরা দেখিনি।’ প্রধানমন্ত্রীর ছেলে বলেন. ‘প্রায় সব বিদেশি পর্যবেক্ষকই বলেছে. আমাদের নির্বাচন ছিল গ্রহণযোগ্য ও শান্তিপূর্ণ। সহিংসতায় প্রাণ হারান ১৭ জন. যার মধ্যে বেশির ভাগই আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী. একজন ছিলেন জাতীয় পার্টির আর একজন ছিলেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য. যাঁকে বিএনপি-জামায়াত গুলি করে হত্যা করে কেন্দ্র দখলের সময়। ১৭ জনের মধ্যে মাত্র ছয়জন ছিলেন বিরোধী দলগুলোর সদস্য বা সমর্থক।’ জয় বলেন. ‘যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউট (এনডিআই) এমন একটি সংগঠনকে পর্যবেক্ষণের জন্য পাঠাতে চায়. যেটার নেতৃত্বে আছেন বিএনপি আমলের একজন সাবেক ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল। এই আবদার ছিল আমাদের নির্বাচনী আইনের পরিপন্থী। কারণ. রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত কেউই নির্বাচনী পর্যবেক্ষক হতে পারে না। এর জন্যই আনফ্রেল নামক সংগঠনটির কিছু সদস্য আসতে পারেননি বাংলাদেশে। বাকি সদস্যরা কিন্তু ঠিকই ভিসা পেয়েছিলেন এবং আমাদের নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেছেন। বিরোধী দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত একজনকে পর্যবেক্ষক হিসেবে পাঠানোর চেষ্টা আনফ্রেল ও এনডিআইয়ের পক্ষপাতিত্বের প্রমাণ। নির্বাচনের আগেই বিবৃতি প্রকাশ করলেও নির্বাচনের পরে কিন্তু তাঁরা আমাদের নির্বাচন নিয়ে কোনো বিবৃতি দেননি. যদিও অন্যান্য পর্যবেক্ষকেরা ঠিকই দিয়েছেন।’ নবনির্বাচিত শেখ হাসিনাকে সবাই অভিনন্দন জানিয়েছে উল্লেখ করে জয় বলেন. ‘আমাদের অঞ্চলের সব রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানই আমাদের অভিনন্দন জানিয়েছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রথম আমার মাকে ফোন করে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানান। আমার সহপাঠী ও ভুটানের রাজা. চীনের প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীও অভিনন্দন জানান।’ জয় অভিযোগ করেন. ‘সিএনএন. বিবিসি ও অন্যান্য পশ্চিমা গণমাধ্যম আমাদের দেশের সংবাদ. আমাদের দলের ও নির্বাচন কমিশনের সব বিবৃতি অগ্রাহ্য করেই তাদের মতো সংবাদ পরিবেশন করে যাচ্ছে আমাদের নির্বাচন নিয়ে। যে কয়েকটি অনিয়মের ঘটনা ঘটেছে. যেগুলোর ব্যাপারে নির্বাচন ইতিমধ্যে কমিশন ব্যবস্থা নিয়েছে। শুধু সেগুলো আর বিরোধী দল. আনফ্রেল ও যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের অভিযোগের ভিত্তিতেই তারা নিউজ করে যাচ্ছে. যা অত্যন্ত হতাশাজনক ও পক্ষপাতদুষ্ট।’
1,572,749
2019-01-01
বিয়েতে বুঁদ বলিউড
বলিউড ২০১৮
বিনোদন ডেস্ক
null
https://www.prothomalo.com/entertainment/article/1572737/%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A7%87%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A7%81%E0%A6%81%E0%A6%A6-%E0%A6%AC%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%89%E0%A6%A1
entertainment
online
4
বলিউড
প্রতিবছরই তো বলিউডে তারকাদের প্রেম হয়. বিয়ে হয়. বিচ্ছেদ হয়। তবে এ বছর যেন তারকাদের বিয়েটা একটু বেশিই হলো। বছরের শুরু থেকেই একদম বিয়েতে বুঁদ ছিল বলিউড। সোনম কাপুর-আনন্দ আহুজা. নেহা ধুপিয়া-অঙ্গদ বেদি. রণবীর সিং-দীপিকা পাড়ুকোন. প্রিয়াঙ্কা চোপড়া-নিক জোনাস আর সবশেষ কপিল শর্মা-গিনি ছত্রাতের বিয়ে নিয়ে বলিউডে পুরো হইহই-রইরই অবস্থা ছিল বছরজুড়ে। প্রতিবছরই তো বলিউডে তারকাদের প্রেম হয়. বিয়ে হয়. বিচ্ছেদ হয়। তবে এ বছর যেন তারকাদের বিয়েটা একটু বেশিই হলো। বছরের শুরু থেকেই একদম বিয়েতে বুঁদ ছিল বলিউড। সোনম কাপুর-আনন্দ আহুজা. নেহা ধুপিয়া-অঙ্গদ বেদি. রণবীর সিং-দীপিকা পাড়ুকোন. প্রিয়াঙ্কা চোপড়া-নিক জোনাস আর সবশেষ কপিল শর্মা-গিনি ছত্রাতের বিয়ে নিয়ে বলিউডে পুরো হইহই-রইরই অবস্থা ছিল বছরজুড়ে। বলিউডে শুরু #মি টুপ্রযোজক হার্ভি ওয়াইনস্টিনের যৌনকাণ্ড ফাঁস হওয়ার পর গত অক্টোবর থেকে হলিউড উত্তাল। নারী চলচ্চিত্রকর্মীরা তাঁদের সঙ্গে ঘটে যাওয়া যৌন হয়রানি নিয়ে এর পর থেকে মুখ খোলা শুরু করেন। কিন্তু বলিউড ২০১৭ সাল থেকে শুরু করে ২০১৮ সালের মাঝামাঝি পর্যন্ত ছিল একেবারেই নীরব। তবে বছরের শেষ প্রান্তিকে এসে বলিউডে দিনবদলের হাওয়া লাগে। সেখানেও শুরু হয় ‘মি টু’ হ্যাশট্যাগের ধারা। শুরুটা করেন অভিনেত্রী তনুশ্রী। তিনি অভিযোগ তোলেন তাঁর সহ-অভিনেতা নানা পাটেকরের বিরুদ্ধে। এর পর থেকে ভারতের একের পর এক বড় বড় রথী-মহারথীর নামে উঠতে থাকে যৌন হয়রানির অভিযোগ। অভিযুক্ত হন অলক নাথ. সাজিদ খান. বিকাশ বেহেল. কৈলাশ খের. সুভাষ ঘাই. অনু মালিক. রজত কাপুরসহ অনেকে। নড়েচড়ে বসে চলচ্চিত্র-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংগঠন. গঠিত হয় নারীসহায়ক কর্মপরিবেশ নিশ্চিতে নতুন নির্দেশনা ও আইন। নেটফ্লিক্সের প্রভাব ২০১৮ সালে নেটফ্লিক্স ভারতের বাজারে রীতিমতো জেঁকে বসেছে। গত বছর পর্যন্ত এই আন্তর্জাতিক স্ট্রিমিং ওয়েবসাইট ভারতের বাজারকে নানাভাবে পর্যবেক্ষণ করে। এ বছর সেই পর্যবেক্ষণের ওপর ভিত্তি করে তাঁরা তাঁদের সাইটে মুক্তি দেয় ‘লাস্ট স্টোরিজ’. ‘সেকরেড গেম’. ‘ঘুল’-এর মতো ওয়েব কনটেন্ট। আর তা ছাড়া মার্কিন কনটেন্টগুলো নিয়েও নেটফ্লিক্স ভারতে বেশ প্রচার-প্রচারণা চালায়। ভারতে ঘুরে যান নারকোস সিরিজ ও মোগলি ছবির নির্মাতা ও কলাকুশলীরা। পদ্মাবত নিয়ে অসহিষ্ণুতাগত বছরের শেষের দিক থেকে শুরু হয়ে এ বছরের শুরু পর্যন্ত পদ্মাবত ছবি নিয়ে ভারতের উগ্রবাদীদের মধ্যে অসহিষ্ণুতা লক্ষ করা যায়। নানাভাবে তাঁরা নির্মাতা সঞ্জয়লীলা বানসালি ও অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোনকে হুমকি দিতে থাকে। বানসালি ও দীপিকার বিরুদ্ধে আনা হয় ইতিহাস বিকৃতি ও অনুভূতিতে আঘাত হানার অভিযোগ। কিন্তু ২৫ জানুয়ারি ছবিটি মুক্তির পরই সব বিতর্কের অবসান ঘটে। প্রেম প্রেম গুঞ্জনদুই জুটির প্রেম নিয়ে এ বছর বলিউড ছিল সরগরম। এই দুই জুটি হলেন রণবীর কাপুর-আলিয়া ভাট ও অর্জুন কাপুর-মালাইকা অরোরা। তবে এ ছাড়া ২০১৮ সালে চলচ্চিত্রে অভিষেক হওয়া ইশান খাট্টার ও জাহ্নবী কাপুরের প্রেমের গুঞ্জন বলিউডে উত্তাপ ছড়িয়েছে বেশ। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার বিতর্কএ বছর ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার বিতর্কের মুখে পড়ে দেশটির রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কারণে। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি মাত্র কয়েকজন বিজয়ীর হাতে পুরস্কার তুলে দিয়ে চলে যান। বাকি বিভাগের বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন দেশটির তথ্যমন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী। এ কারণে জাতীয় পুরস্কার বিজয়ী অনেকে অনুষ্ঠানটি বর্জন করেন। সালমান খানের হাজতবাসবলিউড তারকা সালমান খান এ বছরের এপ্রিল মাসে দুই রাত কাটান ভারতের যোধপুরের জেলখানায়। ১৯৯৮ সালে মায়া হরিণ শিকারের মামলায় তাঁকে থাকতে হয়েছে কারাগারে। দুই রাত জেলে কাটানোর পর তৃতীয় দিনে গিয়ে জামিন পান তিনি। এ মামলায় পাঁচ বছরের সাজা হয় সালমান খানের। কঙ্গনা এ বছরও বিতর্কের রানিকঙ্গনা রনৌত গত বছর অভিনেতা হৃতিক রোশনের সঙ্গে বেশ নোংরা বিবাদে জড়িয়েছিলেন। এ বছরও তিনি বিতর্কের মুখে পড়েছেন। তবে ভিন্ন কারণে। এ বছর কঙ্গনা রনৌত তাঁর মনিকর্নিকা ছবিটি নিয়ে বিপাকে পড়েছেন। বছরের বিভিন্ন সময় এ ছবির জন্য সমালোচিত হয়েছেন তিনি। কখনো ছবির কুশলীদের পারিশ্রমিক না দেওয়ায় ক্ষোভের মুখে পড়েছেন তিনি. কখনো আবার পরিচালককে হটিয়ে নিজেই পরিচালনার দায়িত্ব নিয়ে নেওয়ায় সমালোচিত হয়েছেন।
1,572,737
2019-01-01
মৃণাল সেনের শেষকৃত্য আজ
null
প্রতিনিধি. কলকাতা
null
https://www.prothomalo.com/entertainment/article/1572740/%E0%A6%AE%E0%A7%83%E0%A6%A3%E0%A6%BE%E0%A6%B2-%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B6%E0%A7%87%E0%A6%B7%E0%A6%95%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AF-%E0%A6%86%E0%A6%9C
entertainment
online
4
null
বরেণ্য চিত্র পরিচালক মৃণাল সেনের শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হবে আজ মঙ্গলবার বিকেলে। পারিবারিক সূত্রে জানানো হয়েছে. দক্ষিণ কলকাতার কেওড়াতলা মহাশ্মশানে হবে এই শেষকৃত্য। এর আগে সবার শেষ শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য আজ বেলা আড়াইটা থেকে তাঁর মরদেহ রাখা হবে দক্ষিণ কলকাতার দেশপ্রিয় পার্কের কাছে প্রিয়া সিনেমার সামনে। গতকাল সোমবার মৃণাল সেনের একমাত্র ছেলে কুণাল সেন যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো থেকে কলকাতায় এসেছেন। এরপর হঠাৎ করেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মৃণাল সেনের শেষ ইচ্ছে ছিল. তাঁর মরদেহে কেউ যেন ফুল আর মালা দিয়ে শ্রদ্ধা না জানায়। তাই পরিবার থেকে অনুরোধ করা হয়েছে. কেউ যেন ফুল আর মালা নিয়ে মৃণাল সেনকে শেষ শ্রদ্ধা না জানান। এখানে শ্রদ্ধা জানানোর পর কেওড়াতলা মহাশ্মশান পর্যন্ত শোকযাত্রা হবে। এই শোকযাত্রায় পা মেলাতে আগ্রহী ব্যক্তিদের অনুরোধ করা হয়েছে তাঁর পরিবার থেকে। গত রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় তাঁর ভবানীপুরের নিজ বাসভবনে প্রয়াত হন মৃণাল সেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৫ বছর। তাঁর জন্ম বাংলাদেশের ফরিদপুর শহরে। মৃত্যুর পর বিকেলেই তাঁর মরদেহ ছেলের ফিরে আসার অপেক্ষায় রাখা হয় কলকাতার হিমঘর পিস ওয়ার্ল্ডে। সেখান থেকেই আজ মরদেহ শেষ শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য নিয়ে যাওয়া হবে দেশপ্রিয় পার্কের পাশে প্রিয়া সিনেমার সামনে। ৫ জানুয়ারি কলকাতার গোর্কি সদনে স্মরণসভার আয়োজন করা হয়েছে। বাংলাদেশের ফরিদপুর শহরে মৃণাল সেনের জন্ম ১৯২৩ সালের ১৪ মে। তাঁর শৈশব ও কৈশোর কেটেছে ফরিদপুর শহরে। মৃণাল সেনের মৃত্যুতে অবসান হলো বাংলা চলচ্চিত্রের একটি যুগের। যে যুগের শ্রেষ্ঠ পরিচালকের সম্মান পেয়েছিলেন সত্যজিৎ রায়. ঋত্বিক ঘটক আর মৃণাল সেন। ১৯৪৩ সালে ফরিদপুরের রাজেন্দ্র কলেজে পড়াশোনার সময় মৃণাল সেন চলে আসেন কলকাতায়। তারপর এখানে স্কটিশ চার্চ কলেজে ভর্তি হন। বাংলাদেশ ছাড়ার পর সেই তাঁর স্মৃতিবাহী বাংলাদেশে তিনি প্রথম পা রেখেছিলেন ১৯৯০ সালে। বহু নামী সিনেমা তৈরির কারিগর ছিলেন এই মৃণাল সেন। ১৮টি ছবির জন্য পেয়েছিলেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। পেয়েছিলেন ১২টি আন্তর্জাতিক পুরস্কার। মৃণাল সেন বাংলা. হিন্দি. ওড়িয়া ও তেলেগু ভাষায় ছবি নির্মাণ করেন। তাঁর প্রথম ছবি ‘রাতভোর’ নির্মিত হয় ১৯৫৫ সালে। এর পরের ছবি ছিল ‘নীল আকাশের নিচে’। তিনি ২৬টি ছবি নির্মাণ করেছেন। নির্মাণ করেছেন ১৪টি স্বল্পদৈর্ঘ্যের ছবি আর চারটি প্রামাণ্যচিত্র। এই মৃণাল সেনকে নিয়েই কলকাতায় নির্মিত হয়েছে পাঁচটি তথ্যচিত্র। মৃণাল সেনের নির্মিত ছবির মধ্যে রয়েছে ‘কলকাতা ৭১’. ‘ইন্টারভিউ’. ‘পদাতিক’. ‘একদিন প্রতিদিন’. ‘মৃগয়া’. ‘আকালের সন্ধানে’. ‘তাহাদের কথা’. ‘কোরাস’. ‘ভুবন সোম’. ‘খারিজ’. ‘বাইশে শ্রাবণ’. ‘পরশুরাম’. ‘খণ্ডহার’ ইত্যাদি। পেয়েছেন আন্তর্জাতিক পুরস্কারও। মস্কো. বার্লিন. কান. শিকাগো. মন্ট্রিয়েল. ভেনিস ও কায়রো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে। তাঁর নির্মিত ছবি বার্লিন. ভেনিস. মস্কো. চেকোশ্লোভাকিয়া. শিকাগো. মন্ট্রিয়েল. স্পেন. ইতালি. তিউনিসিয়া ও কলম্বোর চলচ্চিত্র উৎসবে অংশ নিয়েছে। তিনি পেয়েছেন ভারতের বিনোদন জগতের সর্বোচ্চ সম্মান দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কারসহ (২০০৫) ভারতের রাষ্ট্রীয় সম্মান পদ্মশ্রী (১৯৮১)। পেয়েছিলেন ফরাসি সরকারের ‘কমান্ডার অব দ্য অর্ডার অব আর্টস লেটারস’ সম্মান।
1,572,740
2019-01-01
‘কেউ আমাকে একটি চাকরি দেবেন?’
null
মানসুরা হোসাইন
১১
https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1572739/%E2%80%98%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%89-%E0%A6%86%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%8F%E0%A6%95%E0%A6%9F%E0%A6%BF-%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A6%BF-%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%A8%E2%80%99
bangladesh
online
4
রাজধানী|প্রতিবন্ধী|নারী|ঠাকুরগাঁও
জন্মের পর আড়াই বছর বয়স পর্যন্ত চোখে আলো ছিল। তারপর টাইফয়েড জ্বরে দুই চোখের আলো নিভে যায়। দৃষ্টিহীন চোখের সামনে এখন কেবলই লাল. সাদা বা কালো একটা ছায়া। মায়ের মুখ. স্বামীর মুখ. ছেলেমেয়ের মুখ বা বলতে গেলে মানুষ দেখতে কেমন হয়. তা জানার কোনো উপায় নেই ৪২ বছর বয়সী দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী রোজিনা বেগমের। জন্ম থেকে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ফজলে রাব্বীকে বিয়ে করেছিলেন রোজিনা। স্বামী বয়সে বেশ ছোট এবং শিক্ষাগত যোগ্যতার দিক থেকে রোজিনার সঙ্গে তাঁর বিস্তর ব্যবধান। স্বামীর মনোভাব ছিল সন্দেহবাতিক। ছিলেন নেশাগ্রস্তও। এসব কারণে সুখ না থাকলেও ১৫ বছর কাটিয়ে দেন স্বামীর সঙ্গে। অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়ে ফারিহা জাহান এবং পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ুয়া ছেলে রাফিউন রাফিকে নিয়ে ছিল সংসার। গত বছরের মার্চ মাসে স্বামী হঠাৎই মারা যান। এখন দুই সন্তান নিয়ে রোজিনা বেগমের দিশেহারা অবস্থা। রোজিনা বেগমের চোখে আলো না থাকলেও কণ্ঠে সুর আছে। স্বামীও স্প্যানিশ গিটার বাজাতেন। বলতে গেলে সুরে সুরেই পরিচয় হয়েছিল স্বামীর সঙ্গে। এখন স্বামী নেই। দুই সন্তান নিয়ে রোজিনা ঠাকুরগাঁওয়ে শ্বশুরবাড়িতে থাকছেন। সেখানে তিনজনের তিন বেলা খাবার হয়তো জুটছে. কিন্তু এই বাড়তি বোঝা কেইবা কত দিন টানতে চায়? তাই পরিবারের সদস্যরা যখন রোজিনার সন্তানদের অবহেলা করেন. তা সহ্য করতে পারেন না। ছেলেমেয়েরা বড় হচ্ছে। তিন বেলা খাবারের বাইরে তিনজন মানুষের অনেক চাহিদা। তাই রোজিনার কণ্ঠে আকুতি. ‘কেউ আমাকে একটি চাকরি দেবেন?’ সঙ্গে সঙ্গেই বললেন. ‘আমি কিন্তু একা চলাচল করতে পারি। আমি গানের টিউশনি করি। বিভিন্ন মঞ্চে গান গাই। কিন্তু এই করে তো আর ছেলেমেয়েকে মানুষ করতে পারব না। তাই আমার চাকরির খুব দরকার। যেকোনো গানের স্কুলেও যদি একটি চাকরি হতো. তাহলে ছেলেমেয়েকে নিয়ে কোনোভাবে জীবনটা কাটিয়ে দিতে পারতাম।’ সম্প্রতি প্রথম আলো কার্যালয়ে বসেই কথা রোজিনা বেগমের সঙ্গে। ছেলে ও মেয়ে সঙ্গেই ছিল। ঠাকুরগাঁও থেকে ঢাকায় মায়ের বাসায় আসার একটিই উদ্দেশ্য. কোনোভাবে যদি একটি চাকরির সন্ধান পাওয়া যায়। রোজিনা রাজধানীর আগারগাঁও সরকারি সংগীত মহাবিদ্যালয় থেকে স্নাতক পাস করেছেন। তখন এই কলেজ থেকে স্নাতকোত্তর পাস করার ব্যবস্থা ছিল না। তাই আর করা হয়নি। এরপর কলেজটিতে স্নাতকোত্তর চালু হলেও সে সুযোগ মেলেনি। স্বামী ছিলেন এইচএসসি পাস। তিনি অষ্টম শ্রেণি থেকেই মাদকাসক্ত ছিলেন। রোজিনার বাবা মারা গেছেন। মা চতুর্থ শ্রেণির সরকারি চাকরিজীবী ছিলেন। বড় ভাই সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক। আরেক ভাই ব্যক্তিগত গাড়ির চালক। বয়স বা শিক্ষাগত যোগ্যতার ব্যবধান থাকলেও রোজিনার পরিবারের সদস্যরা ভেবেছিলেন. ছেলেমেয়ের জানাশোনা আছে. বিয়ে হলে হয়তো সুখেই থাকবেন মেয়ে। রোজিনা পরিবারের কাছে স্বামীর মাদকাসক্তির কথা চেপে গিয়েছিলেন। ভেবেছিলেন. বিয়ের পর সব ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু তা আর হয়নি। রোজিনা ঢাকা-গাজীপুরে একাই যাতায়াত করে চার বছর অ্যাসিসটেন্স ফর ব্লাইন্ড চিলড্রেন নামক সংগঠনে প্রুফ রিডারের চাকরি করেছেন। রাজধানীর মিরপুরে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী এবং বর্তমানে সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রতিষ্ঠান ব্যাপ্টিস্ট মিশন ইন্টিগ্রেটেড স্কুলে গানের শিক্ষকতা করেছেন। প্রশিকা মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্রে জুনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার পদে চাকরি করেছেন। তবে প্রতিষ্ঠানটিতে কাগজে-কলমে এই পদে চাকরি হলেও কাজ করেছেন টেলিফোন অপারেটর হিসেবে। বিয়ের পর থেকে রোজিনা যেখানেই চাকরি করেছেন. পুরো বেতন তুলে দিতে হতো স্বামীর হাতে। রোজিনা বলেন. ‘যেদিন বেতন হতো. স্বামী আমার সঙ্গে যেতেন। বেতন তুলে পুরো টাকা দেওয়ার পর তা নিয়ে স্বামী বাড়ি ফিরতেন। নিজের মতো খরচ করতেন। তাই এ জীবনে সঞ্চয় বলে কিছু করতে পারিনি। তারপর মেয়ে ছোট. তাকে কে দেখবে. সে অজুহাত দিতে থাকেন স্বামী।’ রোজিনাকে তাই চাকরি ছেড়ে স্বামীর সঙ্গে ঠাকুরগাঁওয়ে শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে উঠতে হয়। তারপর স্বামীর মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ঘরের চার দেয়ালের ভেতরেই জীবন কাটে। এ সময়ের মধ্যে ঢাকা বা বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ প্রায় বন্ধের পথে। রোজিনা বললেন. ‘স্বামী মারা গেছেন. তাই তাঁর সম্পর্কে খারাপ কথা বলতে আমারই খারাপ লাগছে। কিন্তু মানুষটা বিয়ের পর কিছুদিন এবং মারা যাওয়ার আগে কিছুদিন ছাড়া সুখ দেননি। শারীরিক নির্যাতন কম করেছেন. কিন্তু চাহিদামতো নেশার টাকা না দিলেই ঘরের জিনিস ভাঙচুর করতেন। মঞ্চে গান গাওয়া বা কোনো চাকরির জন্য যেতে দিতেন না। সারাক্ষণ সন্দেহ করতেন। হীনম্মন্যতায় ভুগতেন। স্বামী ভালো স্প্যানিশ গিটার বাজাতেন. আমি শিখতে চাইলেও কখনোই শেখাননি।’ রোজিনা বেগম জানালেন. বেসরকারি টেলিভিশনে গানের প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠান ‘ক্লোজআপ ওয়ান’–এ অডিশন থেকে সিলেকশন রাউন্ড পর্যন্ত যেতে পেরেছিলেন। অন্য আরেকটি টেলিভিশনে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের গানের অনুষ্ঠান ‘অন্য আলো’তে প্রথম ১৬ জনের মধ্যে জায়গা করে নেন। কিন্তু পরে টেলিভিশন কর্তৃপক্ষ এই প্রতিযোগিতা বন্ধ করে দেয়। বাংলাদেশ বেতারের ‘সি’ গ্রেডের তালিকাভুক্ত নজরুলসংগীতশিল্পী। তবে শিল্পীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় এক থেকে দেড় বছরে হয়তো একটি গান গাওয়ার সুযোগ মেলে। একটি গানের জন্য পান ৬০০ টাকা। রোজিনা আরও জানালেন. স্বামী মারা যাওয়ার পর বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে মঞ্চে গান গাওয়া শুরু করেছেন। ছেলে তার বাবার মতো স্প্যানিশ গিটার বাজাতে পারে। আর মেয়ে মায়ের গান শুনে শুনেই ভালো গাইতে পারে। মঞ্চে মা কোনো জায়গায় আটকে গেলে এই মেয়েই মাকে উদ্ধার করে। ঠাকুরগাঁওয়ে রোজিনা গানের টিউশনি করেন। তবে ছেলেমেয়েদের পরীক্ষার আগে. রমজানের সময় এসব টিউশনি বন্ধ রাখতে হয়। টিউশনি সব সময় পাওয়া যায় না। স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকে শ্বশুর তিনবেলা তিনজনকে খাবার দেওয়ার ছাড়াও মাসে দুই হাজার টাকা দেন। কিন্তু এই টাকায় ছেলেমেয়েদের তো আর পড়ার খরচ চালানো সম্ভব না। শ্বশুর তাঁর অপারগতার কথা জানিয়ে দিয়েছেন। রোজিনা বলেন. ‘ছেলে জীবিত থাকা অবস্থাতেই আমাকে মেনে নিতে চাইতেন না শ্বশুরবাড়ির লোকজন। স্বামী কোনো কাজ করতেন না। মা-ভাইদের কাছ থেকে টাকা চেয়ে নিয়ে স্বামীর হাতে দিতে হতো। সেই টাকা দিয়ে তিনি নেশা করতেন। এখন তাঁদের ছেলে নেই। আমিও তাঁদের কোনো উপকারে আসতে পারছি না। তাই আমার কদর কেউ করবে না. তা–ই তো স্বাভাবিক। আর আমি নিজেও অন্যের ঘাড়ে বসে খেতে চাই না। আমার গলায় সুর আছে। শরীরে শক্তি আছে। কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে। তাই কেউ যদি আমাকে একটি চাকরি দেন. আমার ও ছেলেমেয়েদের জীবনটা অন্য রকম হতে পারবে।’ ঠাকুরগাঁও থেকে ঢাকায় আসার পথে ঠান্ডা লেগেছে। ঢাকায় আসার আগে শীতের রাতে একটি মঞ্চে গান গেয়েছেন। গলা বসে গেছে। তারপরও প্রতিবেদকের অনুরোধে কয়েকটি গান গাইলেন রোজিনা। তবে শুরু করলেন স্বামীর লেখা একটি গান দিয়ে। স্বামী ভালো ছিলেন না. তারপরও স্বামীর লেখা গান দিয়েই শুরু করলেন. তা জানতে চাইতেই হেসে দিলেন রোজিনা। বললেন. ‘ভালোবেসেই তো বিয়ে করেছিলাম। সেও আমাকে ভালোবাসত। সারাক্ষণ ভয়ে থাকত আমি তাকে ছেড়ে চলে যাব। সবকিছু মিলে তো ১৫ বছর তার সঙ্গেই কাটিয়েছি।’
1,572,739
2019-01-01
ঘটন-অঘটনের বছর
বিশ্বসংগীত ২০১৮
আদর রহমান
null
https://www.prothomalo.com/entertainment/article/1572736/%E0%A6%98%E0%A6%9F%E0%A6%A8-%E0%A6%85%E0%A6%98%E0%A6%9F%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AC%E0%A6%9B%E0%A6%B0
entertainment
online
4
বিদেশের গান
পশ্চিমা গানের জগৎ ২০১৮ সালে নানা ঘটনা ও অঘটনের কারণে সরব ছিল। সেই ঘটনা ও দুর্ঘটনাগুলোর কয়েকটি আবার মনে করিয়ে দিচ্ছি আজ। পশ্চিমা গানের জগৎ ২০১৮ সালে নানা ঘটনা ও অঘটনের কারণে সরব ছিল। সেই ঘটনা ও দুর্ঘটনাগুলোর কয়েকটি আবার মনে করিয়ে দিচ্ছি আজ। বিয়ন্সের কোচিলা রেকর্ডগত বছরের এপ্রিল মাসে প্রতিবছরের মতো যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় অনুষ্ঠিত হয় কোচিলা ভ্যালি মিউজিক অ্যান্ড আর্টস ফেস্টিভ্যাল। গত ১৭ বছরের ইতিহাস এবার বদলে যায় যখন প্রথমবারের মতো উৎসবের মূল পরিবেশনকারী (হেডলাইনার) হিসেবে বিয়ন্সে ওঠেন মঞ্চে। এবারই প্রথম কোনো কৃষাঙ্গ শিল্পীকে ফেস্টিভ্যাল হেডলাইনার করা হলো। আর বিয়ন্সেও মঞ্চ রীতিমতো কাঁপিয়ে দেন। কোচিলার বদলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ট্রেন্ড করতে শুরু করে ‘কোচিলা’ হ্যাশট্যাগ। চাইল্ডিশ গামবিনোর ‘দিস ইজ আমেরিকা’গত বছর যদি বিশ্বসংগীতের পরিমণ্ডলে সবচেয়ে আলোচিত মিউজিক ভিডিওর কথা বলতে হয়. সেটা হবে ‘দিস ইজ আমেরিকা’। অভিনেতা ডোনাল্ড গ্লোভার তাঁর মঞ্চের নাম ‘চাইল্ডিশ গ্যাম্বিনো’ দিয়ে গানটি তৈরি করেন এবং এর মিউজিক ভিডিও প্রকাশ করেন। ভিডিও যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমানের ভীতকর পরিস্থিতি বিশ্বের সামনে স্পষ্টভাবে তুলে ধরেন। আর এ কারণেই বিশ্বব্যাপী সাড়া ফেলে এটি। রাজনীতি ও টেলর সুইফটসংগীতশিল্পী টেলর সুইফট অনেক কাণ্ড আর কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে ২০১৮ সালটি কাটিয়েছেন। বছরজুড়ে তিনি আলোচনায় ছিলেন তাঁর ‘রেপুটেশন’ ট্যুর নিয়ে। নানা দেশ ঘুরে ঘুরে সুইফট বেশ কিছু ব্যবসাসফল কনসার্ট করেছন এ বছর। তবে সুইফট সবচেয়ে বেশি আলোচিত হন. যখন প্রথমবারের মতো এ শিল্পী যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক অবস্থা ও মধ্যবর্তী নির্বাচন নিয়ে তাঁর মন্তব্য প্রকাশ করেন। সুইফটের মন্তব্যের কারণে ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে যুক্তরাষ্ট্রে তরুণ ভোটারদের নিবন্ধনের হার বেড়ে যায়। গানের মানুষদের বিয়েপশ্চিমা গানের জগতে এ বছর বেশ কয়েকটি আলোচিত বিয়ে হয়েছে। জাস্টিন বিবার আর হেইলে স্টেইনফিল্ডের বিয়ে নিয়ে তো আলোচনার শেষ নেই। তা ছাড়া বছরের শেষে এসে গায়িকা মাইলি সাইরাস তাঁর প্রেমিক অভিনেতা লিয়াম হেমসওর্থকে হুট করে বিয়ে করে সবাইকে অবাক করে দিয়েছেন। নিকি মিনাজ কার্ডি বির মারামারিপশ্চিমা গানের জগতের সবচেয়ে বিতর্কিত মুহূর্ত হিসেবে গায়িকা নিকি মিনাজ ও কার্ডি বির মারামারির কথা বলা যেতে পারে। গত সেপ্টেম্বরে নিউইয়র্ক ফ্যাশন উইকের একটি পার্টিতে গিয়ে শুধু ঝগড়াই না. চুলোচুলি-মারামারি পর্যন্ত করেন তাঁরা। একে অন্যের দিকে জুতো ছুড়ে মারেন। শেষে দেখা যায় কার্ডি বি মাথায় আঘাতের চিহ্ন আর নিকি খালি পায়ে বেরিয়ে আসছেন পার্টি ছেড়ে। পলের বিটলস স্মৃতিচারণা‘দ্য লেট লেট শো উইথ জেমস কর্ডন’-এর একটি বিশেষ পর্ব গত বছর সাড়া ফেলেছিল সবখানে। অনুষ্ঠানের ‘কারপুল কারাওকে’ বিভাগের ওই বিশেষ পর্বে অংশ নেন বিটলস সদস্য পল ম্যাকার্টনিকে। পল সেই অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে স্মৃতিকাতর হয়ে পড়েন। ঘুরে বেড়ান অ্যাবে রোড. পেইনে লেনের পথে পথে. গেয়ে শোনান বিটলস ব্যান্ডের জনপ্রিয় কিছু গান। লেডি গাগার জ্বলে ওঠাগানের জগতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলার জন্য লেডি গত বছর এল ম্যাগাজিনের ‘ওম্যান অব দ্য ইয়ার’ সম্মাননা জেতেন। কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপনের বক্তব্যে তখন লেডি গাগা বলেন তাঁর সঙ্গে ঘটে যাওয়া যৌন নিপীড়ন. তাঁর মানসিক রোগ ও জীবনের সংগ্রাম নিয়ে নানা কথা। সেই সময়ই গাগা তাঁর বাগদানের কথাও স্বীকার করেন। তা ছাড়া লেডি গাগা চলতি বছর আ স্টার ইজ বর্ন ছবিতে অনবদ্য অভিনয়ের জন্য দর্শক ও বোদ্ধা দুই মহলেই প্রশংসিত হয়েছেন। ডেমি লোভাটোর মাদকাসক্তিলম্বা সময় ধরে চিকিৎসার পরও সুস্থ হয়ে উঠতে পারলেন না সংগীতশিল্পী ডেমি লোভাটো। গত বছর অতিরিক্ত মাদকসেবনের ফলে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। তাঁকে নিজ বাড়ি থেকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এরপর লম্বা সময় ধরে থাকতে হয় মাদকাসক্তি নিরাময়কেন্দ্রে। কিছুদিন আগেই নিরাময়কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছেন তিনি। গগনচুম্বী বিটিএস উন্মাদনা কোরিয়ান পপ ব্যান্ড ‘বিটিএস’-এর জনপ্রিয়তা দিন দিন বেড়েই চলেছে। গত বছরই বিটিএস আর্মিতে লাখো তরুণ যোগ দিয়েছেন। এই জনপ্রিয়তার আভাস পাওয়া গেছে চলতি বছরের বিলবোর্ড মিউজিক অ্যাওয়ার্ডেই। ব্রিটিশ. মার্কিন ও লাতিন গানের তারকাদের পেছনে ফেলে সবদিক থেকে এগিয়ে গেছে কে-পপ ব্যান্ড বিটিএস। তা ছাড়া এ বছর টাইম ১০০ রিডার পোলেও বিটিএস সবাইকে ছাপিয়ে শীর্ষ স্থান দখল করে নিয়েছিল। অসুস্থতার সঙ্গে লড়ে যাচ্ছেন সেলেনাবছরের শুরু থেকেই গায়িকা সেলেনা গোমেজ ছিলেন আলোচনায়। লুপাস রোগ থেকে মানসিক অবসাদ ও দুশ্চিন্তার শিকার হন সেলেনা গোমেজ। তাঁর মধ্যে সাবেক প্রেমিক জাস্টিন বিবারের হঠাৎ বিয়ের খবরটাও তাঁকে আহত করেছিল। তাই গত অক্টোবরে হঠাৎ ইমোশনাল ব্রেকডাউনের পর মানসিক চিকিৎসাকেন্দ্রে ভর্তি হন সেলেনা। কিছুদিন আগেই বেরিয়েছেন চিকিৎসা সেরে।
1,572,736
2019-01-01
আলোচিত সব ঘটনা
গান ২০১৮
বিনোদন প্রতিবেদক
null
https://www.prothomalo.com/entertainment/article/1572735/%E0%A6%86%E0%A6%B2%E0%A7%8B%E0%A6%9A%E0%A6%BF%E0%A6%A4-%E0%A6%B8%E0%A6%AC-%E0%A6%98%E0%A6%9F%E0%A6%A8%E0%A6%BE
entertainment
online
5
বাংলা গান
গানের জগতে ২০১৮ সালটি ছিল নানা ঘটনায় পরিপূর্ণ। গান নিয়ে যেমন কাজ হয়েছে. তেমনি গানের জগতের তারকাদের নিয়েও ঘটেছে নানা ধরনের ঘটনা। সেসব নিয়ে থাকল এ আয়োজন। কারাগারে আসিফ আকবরগত জুন মাসে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) আইনে গীতিকার. সুরকার ও গায়ক শফিক তুহিনের করা মামলায় গ্রেপ্তার হন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী আসিফ আকবর। অবশেষে জামিনে কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি। মাইলসে ফিরলেন শাফিনগত বছরের শেষ দিকে জানা যায়. মাইলসের সঙ্গে কোনো কনসার্টে অংশ নিচ্ছেন না এই ব্যান্ডের অন্যতম সদস্য শাফিন আহমেদ। কিন্তু মাইলস ভক্তদের সুখবর জানিয়ে শাফিন আহমেদ আবার ফিরে আসেন বছরের মাঝামাঝি। তাপসের গানে সানি লিওনিগানবাংলা টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক কৌশিক হোসেন তাপসের গানের ভিডিওতে মডেল হলেন বলিউড অভিনেত্রী সানি লিওনি। ‘লাভলি অ্যাকসিডেন্ট’ গানটির মিউজিক ভিডিওতে তাপস নিজেও অংশ নেন। ভাইরালএ বছর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গান ভাইরাল হয়ে বেশি কিছু তরুণ সংগীতশিল্পী উঠে আসেন। তাঁদের মধ্যে আরমান আলিফ. টুম্পা খান ও মাহতিম শাকিবের কথা উল্লেখ করা যায়। আরমান আলিফের গাওয়া ‘অপরাধী’ গানটি বেশ জনপ্রিয় হয় তরুণদের মধ্যে। ‘হাজির বিরিয়ানি’ বিতর্কগত বছর দহন সিনেমার ‘হাজির বিরিয়ানি’ নামে একটি গান প্রকাশিত হয় ইউটিউবে। গানটি প্রকাশিত হওয়ার পরই শুরু হয় বিতর্ক। গানের মধ্যে অশ্লীল শব্দ ব্যবহারের অভিযোগ আনা হয়। পরে গানটি ইউটিউব থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়।
1,572,735
2019-01-01
চলে গেলেন কাদের খান
null
বিনোদন ডেস্ক
https://www.prothomalo.com/entertainment/article/1572731/%E0%A6%9A%E0%A6%B2%E0%A7%87-%E0%A6%97%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%A8-%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%96%E0%A6%BE%E0%A6%A8
entertainment
online
5
বলিউড
হিন্দি চলচ্চিত্রের প্রখ্যাত অভিনেতা কাদের খান (৮১) মারা গেছেন। আজ মঙ্গলবার কানাডার একটি হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। বার্তা সংস্থা পিটিআইকে বাবার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন তাঁর ছেলে সরফরাজ খান। স্ত্রী শশিতাকে নিয়ে সরফরাজ খান কানাডায় আছেন। কাদের খানও দীর্ঘদিন তাঁদের কাছেই ছিলেন। বার্ধক্যজনিত নানা সমস্যার পাশাপাশি শেষ দিকে কাদের খান শ্বাসকষ্টেও ভুগছিলেন। দুই দিন আগে জানা যায়. তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় সম্প্রতি তাঁকে কানাডার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। যতক্ষণ জ্ঞান ছিল. ততক্ষণ চোখের ইশারায় যোগাযোগ করলেও কথা বলতে পারছিলেন না। চিকিৎসকেরা তাঁকে দ্রুত নিবিড় পর্যবেক্ষণে নেওয়ার পরামর্শ দেন। এ সময় তাঁর নিউমোনিয়া ধরা পড়ে। তাঁকে কৃত্রিম উপায়ে অক্সিজেন দেওয়া হচ্ছিল। আগেই জানা গেছে. কাদের খান অনেক দিন থেকেই প্রোগ্রেসিভ সুপ্রানিউক্লিয়ার পলসিতে (পিএসপি) ভুগেছিলেন। এ সমস্যায় রোগীরা স্বাভাবিক ভারসাম্য ও স্মৃতি হারিয়ে ফেলেন। ২০১৭ সালে তাঁর হাঁটুতে একটি অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল। পিএসপির কারণে তিনি বাক্‌শক্তি হারিয়ে ফেলেন। গত রোববার রাতে ভারতীয় কয়েকটি সংবাদমাধ্যম থেকে জানা যায়. কাদের খান মারা গেছেন। এরপর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রাতভর অনেক ভক্ত আর সাধারণ দর্শক বলিউডের এই বরেণ্য অভিনেতাকে স্মরণ করে বিভিন্ন স্ট্যাটাস দেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁকে শ্রদ্ধা জানানোর হিড়িক পড়ে যায়। খবরটি নিশ্চিত হওয়ার জন্য বার্তা সংস্থা পিটিআই থেকে সরফরাজ খানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তখন বাবাকে নিয়ে এ ধরনের খবর প্রচার হওয়ায় তিনি বিরক্তি প্রকাশ করেন। তিনি জানান. খবরটা মিথ্যা। পুরোটাই গুজব। হাসপাতালে চিকিৎসকদের একটি দল তাঁর বাবার শারীরিক পরিস্থিতির ওপর ২৪ ঘণ্টা খেয়াল রাখছে। তবে কাদের খানের অবস্থা সংকটজনক। কাদের খানের জন্ম আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে। বলিউডে ৩০০ ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি। ২৫০টি ছবির সংলাপ লিখেছেন। রাজেশ খান্না অভিনীত ‘দাগ’ ছবি দিয়ে ১৯৭৩ সালে বলিউডে অভিনয়জীবন শুরু করেন কাদের খান।
1,572,731
2019-01-01
ক্ষুধার্তের খাবার ‘চুরি’ করছে হুতি বিদ্রোহীরা
null
অনলাইন ডেস্ক
https://www.prothomalo.com/international/article/1572728/%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A7%81%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%96%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E2%80%98%E0%A6%9A%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E2%80%99-%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A6%9B%E0%A7%87-%E0%A6%B9%E0%A7%81%E0%A6%A4%E0%A6%BF-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%8B%E0%A6%B9%E0%A7%80%E0%A6%B0%E0%A6%BE
international
online
5
আরব বিশ্ব|ইয়েমেন
ইয়েমেনে হুতি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে ক্ষুধার্ত মানুষের জন্য বরাদ্দ খাদ্য চুরির অভিযোগ এনেছে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি)। গতকাল সোমবার বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়। হুতি নিয়ন্ত্রিত এলাকার ক্ষুধার্ত লোকজনের জন্য খাদ্যসহায়তা অপরিহার্য। কিন্তু তাদের জন্য পাঠানো খাদ্য হুতিরা সরিয়ে নিচ্ছে বলে অভিযোগ ডব্লিউএফপির। এই কাজ বন্ধ করতে ইয়েমেনের বিদ্রোহী গোষ্ঠীটির প্রতি দাবি জানিয়েছে জাতিসংঘের সংস্থাটি। ডব্লিউএফপির এক জরিপ বলছে. ইয়েমেনের রাজধানী সানারা লোকজন রেশন পায়নি। অথচ. তাদের জন্যই সহায়তা হিসেবে রেশন পাঠানো হয়েছিল। সংস্থাটির ভাষ্য. সংশ্লিষ্ট বণ্টন এলাকা থেকে হুতিরা অবৈধভাবে খাদ্য সরিয়ে নিচ্ছে। রেশন সরিয়ে নিয়ে তারা তা খোলা বাজারে বিক্রি করেছে। আবার এমন লোকদের সেই রেশন দেওয়া হয়েছে. যা তাদের প্রাপ্য নয়। তবে ক্ষুধার্তদের জন্য পাঠানো খাদ্য সরিয়ে নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছে হুতিরা। জাতিসংঘ বলছে. প্রায় দুই কোটি ইয়েমেনি খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। তাদের মধ্যে প্রায় এক কোটি লোক জানে না যে. তাদের পরের বেলার খাবার কোথা থেকে আসবে। ইয়েমেনে বেশ কয়েক বছর ধরে গৃহযুদ্ধ চলছে। ২০১৫ সালে সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ইয়েমেনে হস্তক্ষেপ করলে দেশটিতে যুদ্ধ মারাত্মক আকার ধারণ করে। জাতিসংঘের তথ্যমতে. ইয়েমেনে যুদ্ধে প্রায় ৭ হাজার বেসামরিক লোক নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে প্রায় ১১ হাজার লোক।
1,572,728
2019-01-01
উনের নতুন হুঁশিয়ারি
null
অনলাইন ডেস্ক
null
https://www.prothomalo.com/international/article/1572726/%E0%A6%AF%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%B0-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%B7%E0%A7%87%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%9E%E0%A6%BE-%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A7%87-%E0%A6%97%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A7%87-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%81%E0%A6%A4%E0%A6%BF
international
online
5
এশিয়া|ইংরেজি নববর্ষ|উত্তর কোরিয়া|যুক্তরাষ্ট্র|ডোনাল্ড ট্রাম্প|কিম জং উন
নববর্ষ উপলক্ষে দেওয়া ভাষণে উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং উন পরমানু নিরস্ত্রীকরণ নিয়ে নতুন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। বলেছেন. তিনি পরমাণু নিরস্ত্রীকরণে অঙ্গীকারবদ্ধ। তবে যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা অব্যাহত রাখলে তিনি অঙ্গীকার থেকে সরে দাঁড়াতে পারেন। স্থানীয় সময় আজ মঙ্গলবার ভোরে দেশটির সরকারি টিভিতে উনের ভাষণ প্রচারিত হয়। উন বলেন. যদি বিশ্ববাসীর সামনে করা প্রতিশ্রুতি না রেখে ট্রাম্প নিষেধাজ্ঞা চালিয়ে যান এবং দেশের জনগণের ওপর চাপ দিতে থাকেন তাহলে আমাদের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য নতুন উপায় খুঁজতে হবে। উত্তরসূরি কিম ইল সাংয়ের ঐতিহ্য অনুসারে উন প্রতি নববর্ষে ভাষণ দেন। সাধারণত এই ভাষণে গত বছরের অর্থনৈতিক অবস্থা সম্পর্কে দেশের জনগণকে জানানো হয়। পর্যবেক্ষকেরা এই ভাষণ থেকে পিয়ংইয়ংয়ের বৈদেশিক নীতি সম্পর্কে আভাস পেতে চান । নববর্ষের ভাষণে কিম জং উন আরও বলেন. উত্তর কোরিয়া পরমাণু অস্ত্র তৈরি. ব্যবহার ও বিস্তার ঘটাবে না বলে অঙ্গীকার করেছে। অঙ্গীকার বাস্তবায়নের জন্য পদক্ষেপও নিয়েছে। তিনি যেকোনো সময় ট্রাম্পের সঙ্গে আবার দেখা করার জন্য প্রস্তুত। গত বছর নববর্ষ উপলক্ষে দেওয়া ভাষণে উন দক্ষিণ কোরিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক নিয়ে বক্তব্য দেন । ওই ভাষণে উন জানান. দক্ষিণ কোরিয়ার আয়োজিত শীতকালীন অলিম্পিকে উত্তর কোরিয়া অংশ নেবে । গত এপ্রিল মাসে উন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জে-ইনের সঙ্গে সীমান্ত নিয়ে আলোচনা করেন। দুই কোরিয়ার নেতার মধ্যে এরপরও দুইবার বৈঠক হয়েছে। উন সিঙ্গাপুরে গত জুন মাসে ট্রাম্পের সঙ্গে ঐতিহাসিক বৈঠক করেন। পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের বিষয়ে দুই নেতার মধ্যে ওই বৈঠকে চুক্তি সই হয়। তবে এই বৈঠকের পর খুব সামান্যই অগ্রগতি হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন. আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুতে তিনি কিম জং উনের সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন।
1,572,726
2019-01-01
বাজে রসিকতায় মার্কিন সামরিক বাহিনীর দুঃখপ্রকাশ
null
অনলাইন ডেস্ক
https://www.prothomalo.com/northamerica/article/1572725/%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A7%87-%E0%A6%B0%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A6%BF%E0%A6%A8-%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%95-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A7%80%E0%A6%B0-%E0%A6%A6%E0%A7%81%E0%A6%83%E0%A6%96%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B6
northamerica
online
5
null
যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর একটি শাখা ইউএস স্ট্রাটিজিক কমান্ডের পক্ষ থেকে একটি টুইট করা হয়েছিল। টুইটে বলা হয়. যেকোনো সময় বড় ধরনের বোমা ফেলতে প্রস্তুত তারা। মজার ছলেই টুইটটি করা হয়। তবে শেষ পর্যন্ত সেটা আর মজার থাকেনি। এমন বাজে রসিকতার জন্য দুঃখপ্রকাশ করতে হয়েছে তাদের। এএফপির আজ মঙ্গলবারের খবরে বলা হয়েছে. ইউএস স্ট্রাটিজিক কমান্ডের করা টুইটে একটি ভিডিও ছিল যেখানে বি-২ বোমারুরা বোমা নিক্ষেপ করছেন। সঙ্গে লেখা বার্তায় ছিল. ‘যদি কখনো প্রয়োজন হয়. আমরা এর চেয়ে অনেক অনেক বড় কিছু নিক্ষেপ করতে প্রস্তুত।’ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ নিয়ে আতঙ্কের পাশাপাশি সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়। এই সমালোচনার মুখে টুইটটি প্রত্যাহার করে ইউএস স্ট্রাটিজিক কমান্ডের পক্ষ থেকে দুঃখপ্রকাশ করে আরেকটি টুইট করা হয়। ওই টুইটে বলা হয়. ‘আমাদের আগের টুইটটি একটি বাজে রসিকতা। এতে আমাদের মূল্যবোধের প্রতিফলন ঘটে না। আমরা এ জন্য দুঃখপ্রকাশ করছি। আমরা যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের মিত্রদের নিরাপত্তার জন্য সদা প্রস্তুত।’ ইউএস স্ট্রাটিজিক কমান্ডের এক মুখপাত্র এনবিসি নিউজকে বলেন. ভিডিওতে যে ছবি দেখানো হয়েছে. তা পারমাণবিক বোমার ছবি নয়।
1,572,725
2019-01-01
দেখে নিন ২০১৯ সালে বাংলাদেশের পুরো ক্রিকেট সূচি
null
ক্রীড়া প্রতিবেদক
২৫
https://www.prothomalo.com/sports/article/1572723/%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%96%E0%A7%87-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%A8-%E0%A7%A8%E0%A7%A6%E0%A7%A7%E0%A7%AF-%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%8B-%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%9F-%E0%A6%B8%E0%A7%82%E0%A6%9A%E0%A6%BF
sports
online
5
ক্রিকেট
তিনটি ফাইনালে হার. আফগানিস্তানের কাছে টি-টোয়েন্টি সিরিজে ধবলধোলাই. ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে টেস্ট সিরিজে হার—এ ব্যর্থতার বিপরীতে বাংলাদেশ দলের সাফল্যের পাল্লাটাই ভারী ছিল বিদায়ী বছরে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আরও একটি ব্যস্ত বছর কাটাতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ২০১৯ সাল বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বিশ্বকাপের জন্য। দেখা নেওয়া যেতে পারে ২০১৯ সালে বাংলাদেশ দলের পুরো সূচি। তিনটি ফাইনালে হার. আফগানিস্তানের কাছে টি-টোয়েন্টি সিরিজে ধবলধোলাই. ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে টেস্ট সিরিজে হার—এ ব্যর্থতার বিপরীতে বাংলাদেশ দলের সাফল্যের পাল্লাটাই ভারী ছিল বিদায়ী বছরে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আরও একটি ব্যস্ত বছর কাটাতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ২০১৯ সাল বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বিশ্বকাপের জন্য। দেখা নেওয়া যেতে পারে ২০১৯ সালে বাংলাদেশ দলের পুরো সূচি। ২০১৮ সালে ব্যস্ত এক বছর কাটিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট। এ বছরও বাংলাদেশের অপেক্ষায় ব্যস্ত সূচি। বাংলাদেশের সামনে আবারও বড় চ্যালেঞ্জ। বিদেশের মাটিতে সামর্থ্যের কঠিন পরীক্ষা দেওয়ার বিষয়টি তো আছেই। এ বছর বাংলাদেশ খেলতে যাবে বিশ্বকাপ। বছরটা বাংলাদেশ শুরু করবে ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট বিপিএল দিয়ে। আন্তর্জাতিক ব্যস্ততা শুরু ফেব্রুয়ারিতে নিউজিল্যান্ড সফর দিয়ে। মে মাসে আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজের পরই বিশ্বকাপ—ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ এক টুর্নামেন্ট। ফেব্রুয়ারি থেকে জুলাই—টানা ছয় মাস বাংলাদেশকে খেলতে হবে বিদেশের মাঠে। অক্টোবরে অস্ট্রেলিয়া ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে দুটি হোম সিরিজের পর আবার বিদেশে কঠিন পরীক্ষা। ভবিষ্যৎ সফর সূচি (এফটিপি) অনুযায়ী. নভেম্বরে ভারত সফর. ডিসেম্বরে তিনটি ওয়ানডে খেলতে শ্রীলঙ্কায় যাওয়ার কথা বাংলাদেশের। অর্থাৎ বছরের ৮ মাসই বিদেশে কাটাবে বাংলাদেশ। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের মতো বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের সূচি নিয়ে নির্দিষ্ট কিছু বলা কঠিন। নানা কারণে হুটহাট পাল্টে যায় সূচি। জানুয়ারিতে বিপিএল. এটাই এখন পর্যন্ত নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে। আগামী ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ. জাতীয় লিগ. বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগ (বিসিএল) কবে হবে. এখনই বলা কঠিন। গত বছরের বিপিএল যেহেতু এ বছর হতে যাচ্ছে. ২০১৯ সালেই দুটি বিপিএল হবে কি না সেটিও বলার উপায় নেই।
1,572,723
2019-01-01
থ্রিজি–ফোরজি ফের চালু
null
নিজস্ব প্রতিবেদক. ঢাকা
১২
https://www.prothomalo.com/technology/article/1572716/%E0%A6%A5%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%9C%E0%A6%BF%E2%80%93%E0%A6%AB%E0%A7%8B%E0%A6%B0%E0%A6%9C%E0%A6%BF-%E0%A6%AB%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%81
technology
online
5
খবরাখবর
আবার থ্রিজি ও ফোরজি সেবা সচল করেছে মোবাইল অপারেটরগুলো। আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টা ২১ মিনিট থেকে মোবাইল ইন্টারনেট সেবা ফিরতে শুরু করে। আজ সকালে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি মোবাইল অপারেটরগুলোকে থ্রিজি ফোরজি চালুর নির্দেশ দেওয়ার পর তারা এ সুবিধা চালু করে। মোবাইল অপারেটরদের সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। বর্তমানে মোবাইল ফোনে থ্রিজি ও ফোরজি সেবা পাওয়া যাচ্ছে। এ সেবা বন্ধ থাকায় মোবাইল থেকে ইন্টারনেটে ঢোকা যায়নি। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ২৭ ঘণ্টা বন্ধ রেখে মোবাইল ইন্টারনেট সেবা চালু করার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই আবারও তা বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছিল টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি। রোববার ভোট শেষ হওয়ার দুই ঘণ্টা পর সন্ধ্যা সোয়া ৬টায় বিটিআরসির নির্দেশনা পেয়ে মোবাইল ফোন অপারেটররা সব ধরনের মোবাইল ইন্টারনেট চালু করে। এরপর রাত ৯টার পর আবার ফোর জি ও থ্রি জি ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়। ভোটের আগের দিন শনিবার রাত ১১টার দিকে মোবাইল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে নির্দেশনা পাঠিয়ে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করেছিল বিটিআরসি। শনিবার দুপুর থেকে ফোর-জি ও থ্রি-জি সেবা বন্ধ করে টু-জি সেবা চালু রাখার নির্দেশনা দিয়েছিল বিটিআরসি। কিন্তু শনিবার রাত ১১টার পর থেকে ভোটের দিন মধ্যরাত পর্যন্ত টু-জি সেবাও বন্ধের নির্দেশনা দেওয়া বিটিআরসির পক্ষ থেকে। ফলে ভোটের আগের দিন মধ্যরাত থেকে ভোটের দিন মধ্যরাত পর্যন্ত মোবাইলে ইন্টারনেট সেবা পায়নি গ্রাহকেরা। এরপর রোববার সন্ধ্যা ৬টায় আবার ইন্টারনেট সেবা চালু হয়। এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে প্রায় ১০ ঘণ্টা মোবাইলে ফোর-জি ও থ্রি-জি সেবা বন্ধ রেখেছিল বিটিআরসি। শুক্রবার সকাল থেকে শনিবার দুপুর পর্যন্ত কিছু সময় ফোর-জি ও থ্রি-জি সেবা পেয়েছিলেন গ্রাহকেরা। প্রসঙ্গত. মোবাইলে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ থাকলেও ব্রডব্যান্ডে ইন্টারনেটে স্বাভাবিক সেবা পেয়েছেন গ্রাহকেরা। আসন্ন সংসদ নির্বাচনের ভোটের আগে ‘অপপ্রচার’ ঠেকাতে ১৩ ডিসেম্বর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বৈঠকে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) ইন্টারনেটের গতি কমানোর প্রস্তাব দেয় পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ। ওই বৈঠকে সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচন কমিশন আয়োজিত আইন-শৃঙ্খলাবিষয়ক সমন্বয়সভায় এই পরামর্শ দেওয়া হয়। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদার সভাপতিত্বে বৈঠকে সব বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধি. সব রিটার্নিং অফিসার. জেলা পুলিশ সুপার ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাসহ পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা অংশ নেন।
1,572,716
2019-01-01
কথা শুনলে বেঁচে যেতেন খাসোগি!
null
অনলাইন ডেস্ক
https://www.prothomalo.com/international/article/1572715/%E0%A6%95%E0%A6%A5%E0%A6%BE-%E0%A6%B6%E0%A7%81%E0%A6%A8%E0%A6%B2%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%81%E0%A6%9A%E0%A7%87-%E0%A6%AF%E0%A7%87%E0%A6%A4%E0%A7%87%E0%A6%A8-%E0%A6%96%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A7%8B%E0%A6%97%E0%A6%BF
international
online
5
আরব বিশ্ব|সৌদি আরব
গেল বছরে বিশ্বে সবচেয়ে আলোচিত ঘটনাগুলোর একটি ছিল সৌদি সাংবাদিক জামাল খাসোগি হত্যাকাণ্ড। সৌদি আরব থেকে ১৫ সদস্যদের দল উড়ে গিয়ে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেট ভবনের ভেতরে গত ২ অক্টোবর তাঁকে হত্যা করে লাশ গুম করে ফেলে। রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়া এমন উচ্চ নিরাপত্তার স্থানে হত্যাকাণ্ড ঘটানো অসম্ভব বলেই মতপ্রকাশ করেছে তুরস্ক ও যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। তাদের প্রতিবেদনে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষক হিসেবে যাঁর নাম এসেছে. তিনি আর কেউ নন. তেলসমৃদ্ধ সৌদি আরবের ক্ষমতাধর ব্যক্তি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান। সৌদি আরবের মতো দেশ. যারা অন্য কোনো দেশের মতামতের গুরুত্ব না দিয়ে নিজেদের প্রথা অনুসারে শাসনে অভ্যস্ত. তারাও আন্তর্জাতিক চাপের মুখে নাড়া খায় এই হত্যাকাণ্ডে। ২০১৭ সালের জুনে যুবরাজ মোহাম্মদ ক্রাউন প্রিন্স হওয়ার পর কড়া সমালোচক হিসেবে খাসোগি তাঁর রোষানলে পড়েন। দুর্নীতিবিরোধী ও ভিন্নমত দমনের অভিযানে ব্যাপক ধরপাকড়ের মধ্যে নিজেকে বাঁচাতে ওই বছরের সেপ্টেম্বরে সৌদি আরব ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রে স্বেচ্ছানির্বাসনে চলে যান একসময়ের রাজপরিবারের ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি জামাল খাসোগি। একসময় সৌদি রাজপরিবারের বৃত্তি নিয়ে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে সাংবাদিকতা বিষয়ে পড়াশোনা করেছিলেন। আরব বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রেসিডেন্টদের সাক্ষাৎকার নেওয়া এবং ওসামা বিন লাদেনের একাধিকবার সাক্ষাৎকার নেওয়া খাসোগি আন্তর্জাতিক মহলে সুপরিচিত ছিলেন। স্বেচ্ছানির্বাসনের সময়ে তিনি ওয়াশিংটন পোস্টে কলাম লিখতেন। তাঁর কলামজুড়ে থাকত সৌদি শাসকদের বিরুদ্ধে গঠনমূলক সমালোচনা। নির্বাসনে যাওয়ার পরপরই ২০১৭ সালের অক্টোবরে যুবরাজের গণমাধ্যমবিষয়ক উপদেষ্টা কাহতানি তাঁর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করে যুবরাজের পক্ষে কলাম লেখার অনুরোধ জানান এবং এটাও জানান. তাঁর লেখা প্রতিটি শব্দ যুবরাজের নজরে রয়েছে। কিন্তু সে কথা শোনেননি খাসোগি। আর কথা না শোনার পরিণতি তাঁকে ভোগ করতে হয়েছে ঠিক পরের বছরের অক্টোবরে প্রাণ দিয়ে। নিখোঁজের দিন থেকে এ পর্যন্ত প্রায় প্রতিদিন খাসোগি ছিলেন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের গুরুত্বপূর্ণ খবরে। সবশেষ গতকাল সোমবারও খাসোগি ইস্যুতে তুরস্কের গণমাধ্যমে ভিডিওসহ নতুন তথ্য প্রকাশ হয়েছে। এএফপি. আঙ্কারা ও আল-জাজিরার খবর থেকে জানা গেছে. তুরস্কের আ-হাবার নামের এক টেলিভিশন চ্যানেল তাদের খবরে বলেছে. ব্যাগ ও বাক্সতে করে খাসোগির মরদেহের টুকরা ইস্তাম্বুলের সৌদি আরবের কনস্যুলেট থেকে বের করা হয়েছে। টেলিভিশনটি সিসিটিভি ফুটেজও প্রকাশ করেছে। ওই ফুটেজে দেখা গেছে. ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেট থেকে কনসাল জেনারেলের বাসায় পাঁচটি বাক্স এবং দুটি বড় ব্যাগ নিয়ে যাচ্ছেন তিনজন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একটি সূত্রের বরাত দিয়ে টেলিভিশনটি বলেছে. ওই ব্যাগ ও বাক্সতে ছিল খাসোগির মরদেহের টুকরা। ইস্তাম্বুলের যে সৌদি কনস্যুলেট ভবনে খাসোগিকে হত্যা করা হয়. ওই কনস্যুলেটের কাছেই কনস্যুলার জেনারেলের বাসা। আ-হাবার টেলিভিশন আরও বলেছে. একটি মিনিবাসে করে ওই ব্যাগ ও বাক্সগুলো কনসাল জেনারেলের বাসার গ্যারেজে নেওয়া হয়। পরে ওই তিনজনকে সেগুলো ভেতরে নিতে দেখা যায়। তুরস্কের দৈনিক পত্রিকা ডেইলি সাবাহের দুই সাংবাদিক এ হত্যাকাণ্ড নিয়ে একটি বই লিখেছেন। এতেও উঠে এসেছে নতুন তথ্য। বইটিতে ওই ১৫ জনের দলে নতুন দুজনের নাম উঠে এসেছে। তাঁরা হলেন সাইদ মুয়ায়েদ আল-কারনি ও মুফলিস শায়া আল-মুসলেহ। তাঁরা ওই সময় কনস্যুলেটের নিরাপত্তাকর্মী হিসেবে কাজ করেছেন। আসলে তাঁরা সৌদি গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য এবং তাঁদের কূটনৈতিক পাসপোর্ট রয়েছে। খাসোগিকে হত্যার পর আন্তর্জাতিক মহলে এ নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠলে প্রথমে এ হত্যাকাণ্ডের কথা অস্বীকার করে সৌদি আরব। পরে আন্তর্জাতিক চাপের মুখে কনস্যুলেট ভবনে হত্যার কথা স্বীকার করে নেয় দেশটি। তবে এ হত্যার পেছনে যুবরাজ মোহাম্মদের সংশ্লিষ্টতা জোরের সঙ্গে প্রত্যাখ্যান করেছে সৌদি আরব। দেশটি রাজ্যের সুপ্রিম কাউন্সিলে কিছু রদবদল এনেছে। তবে এই রদবদলের কোনো আঁচ লাগেনি যুবরাজ মোহাম্মদের গায়ে। আগের মতো এই কাউন্সিলের প্রধান হিসেবে ক্ষমতা যুবরাজ মোহাম্মদের হাতেই রয়েছে। তিনি উপপ্রধানমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবেই রয়েছেন। রদবদল করে যাঁদের আনা হয়েছে. তাঁরাও যুবরাজের ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি। ক্রাউন প্রিন্স ওয়াশিংটনসহ অন্য পশ্চিমা দেশগুলোকে খাসোগি হত্যার ব্যাপারে তাঁর জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকৃতি জানিয়ে রীতিমতো দেনদরবার করে চলেছেন। এ অবস্থায় দেশটির মৃদুভাষী পররাষ্ট্রমন্ত্রী আদেল আল-জুবায়েরকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে গত শুক্রবার থেকে নিযুক্ত হয়েছেন ইব্রাহিম আল-আসাফ। ৬৯ বছর বয়সী ইব্রাহিম দীর্ঘ সময় ধরে সৌদি আরবের অর্থমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। তিনি আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের কাছে অতি পরিচিত এক মুখ। এদিকে ওয়াশিংটন পোস্টের এক খবরে বলা হয়েছে. জামাল খাসোগি সৌদি আরব থেকে পালিয়ে আসতেন বাধ্য হলেও সৌদি আরব এটা স্পষ্ট করেছিল যে তিনি তাদের কাছ থেকে পুরোপুরি পালাতে পারবেন না কখনো। যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ায় এক বন্ধুর বাসায় এসে ওঠেন খাসোগি। ওই বন্ধু জানান. ২০১৭ সালের অক্টোবরে রিয়াদ থেকে সৌদ বিন আবদুল্লাহ আল-কাহতানি খাসোগিকে ফোন দেন। ওই সময় কাহতানি ছিলেন বাদশাহ আবদুল্লাহর আইনবিষয়ক উপদেষ্টা এবং যুবরাজ মোহাম্মদের গণমাধ্যমবিষয়ক উপদেষ্টা। খাসোগি হত্যা ইস্যুতে তাঁকে পরে বরখাস্ত করা হয়। ফোনে খাসোগিকে কাহতানি বলেছিলেন. যুবরাজ মোহাম্মদের বিভিন্ন সংস্কারমূলক কর্মকাণ্ডের প্রশংসা করছে লোকজন। এই প্রশংসায় যুবরাজ খুশি। তিনি খাসোগিকে যুবরাজের এসব অর্জন নিয়ে লিখতে এবং তা ছড়িয়ে দিতে জোর দেন। ফোনালাপে তাঁর কথাগুলো আন্তরিক এবং অনুরোধের মতো শোনালেও কাহতানি একটি স্পষ্ট বার্তা দেন যে খাসোগি এই মুহূর্তে সৌদি শাসনের অধীনে না থাকলেও তাঁর প্রতিটি শব্দ দেশটির সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তি নজরে রাখছেন। জবাবে খাসোগি একের পর এক অধিকারকর্মীদের গ্রেপ্তারের ঘটনার কথা তুলে ধরে প্রতিক্রিয়া জানান। খাসোগির বন্ধু জানান. খাসোগির ফোন ধরে রাখা হাতটি থর থর করে কাঁপতে দেখেছিলেন তিনি।
1,572,715
2019-01-01
ক্রিকেটে একটা বৈশ্বিক ট্রফির স্বপ্ন মাশরাফি–সাকিবদের
null
রানা আব্বাস
https://www.prothomalo.com/sports/article/1572714/%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%9F%E0%A7%87-%E0%A6%8F%E0%A6%95%E0%A6%9F%E0%A6%BE-%E0%A6%AC%E0%A7%88%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%95-%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%AB%E0%A6%BF%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%A8
sports
online
5
ক্রিকেট|মাশরাফি বিন মুর্তজা|সাকিব আল হাসান|তামিম ইকবাল|মুশফিকুর রহিম|মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ
মাশরাফি বিন মুর্তজা. সাকিব আল হাসান. তামিম ইকবাল. মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ হচ্ছেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের সোনালি প্রজন্মের ৫ প্রতিনিধি। মাশরাফি এ বছর বিদায় নিলে ২০১৯ বিশ্বকাপের পর আর হয়তো কোনো আইসিসির টুর্নামেন্টে এক সঙ্গে দেখা যাবে না তাদের। ‘পঞ্চপাণ্ডব’ থাকতে থাকতে কি বাংলাদেশ পারবে কোনো ট্রফি জিততে? নতুন বছরের প্রথম দিনে তাদের স্বপ্নের কথা জেনে নেওয়া যাক মাশরাফি বিন মুর্তজা. সাকিব আল হাসান. তামিম ইকবাল. মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ হচ্ছেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের সোনালি প্রজন্মের ৫ প্রতিনিধি। মাশরাফি এ বছর বিদায় নিলে ২০১৯ বিশ্বকাপের পর আর হয়তো কোনো আইসিসির টুর্নামেন্টে এক সঙ্গে দেখা যাবে না তাদের। ‘পঞ্চপাণ্ডব’ থাকতে থাকতে কি বাংলাদেশ পারবে কোনো ট্রফি জিততে? নতুন বছরের প্রথম দিনে তাদের স্বপ্নের কথা জেনে নেওয়া যাক অতীতের পাতায় চলে গেছে ২০১৮। স্বাগত ২০১৯। বছরটা বাংলাদেশ ক্রিকেটে ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ. এটি যে বিশ্বকাপের বছর। অন্য দুই সংস্করণের তুলনায় ওয়ানডেতে ধারাবাহিক সাফল্য. অন্তত ছয়জন ক্রিকেটারের আছে ১০ বছরের বেশি সময় ধরে ওয়ানডে খেলার অভিজ্ঞতা। স্বাভাবিকভাবেই ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে ভালো কিছুর স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ। কিন্তু বাস্তবতা যে বড্ড কঠিন। বড় ট্রফি দূরে থাক. আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশ কখনো কোনো ফাইনালই জেতেনি। ১৯৯৭ আইসিসি ট্রফি অবশ্য আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট ছিল. তবে সে টুর্নামেন্টের কোনো ম্যাচই ওয়ানডে হিসেবে গণ্য হয় না। কখনোই ফাইনাল না জেতার তিক্ত তথ্যটা জানার পরও স্বপ্ন দেখতে হয়। বড় ট্রফি. বড় মঞ্চে আলো ছড়াতে বাংলাদেশ আগামী মে-জুনে-জুলাইয়ে খেলতে যাবে বিশ্বকাপ। বেলজিয়াম যেমন ২০১৮ ফুটবল বিশ্বকাপ খেলেছে তাদের সোনালি প্রজন্মে সওয়ার হয়ে। ২০১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপও বাংলাদেশ খেলতে যাবে তার সোনালি প্রজন্মের ওপর আস্থা রেখে। মাশরাফি বিন মুর্তজা. সাকিব আল হাসান. তামিম ইকবাল. মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ হচ্ছেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের সোনালি প্রজন্মের ৫ প্রতিনিধি—যাঁরা এক সঙ্গে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলছেন এক দশকের বেশি সময় ধরে. যাঁরা এক সঙ্গে খেলেছেন ১০০-এর বেশি ওয়ানডে। ইংল্যান্ড বিশ্বকাপ দিয়ে শেষ করার ইচ্ছে মাশরাফির. এই বিশ্বকাপের পর তাই আর কোনো আইসিসির টুর্নামেন্টে এক সঙ্গে পাওয়া যাবে না ‘পঞ্চপাণ্ডব’কে। পাঁচ তারকা থাকতে থাকতে কি বাংলাদেশ পাবে একটা বৈশ্বিক শিরোপার স্বাদ? প্রশ্নটা বিভিন্ন সময় করা হয়েছিল তাঁদের। নতুন বছরের প্রথম দিনটা হচ্ছে স্বপ্নের কথা বলার দিন. আশার গান শোনানোর দিন। অন্য সময় প্রকাশ না করে এ দিনে তাই জানানো হলো তাঁদের স্বপ্নের কথা— মাশরাফি বিন মুর্তজা ‘বৈশ্বিক শিরোপা জিততে আসলে ভাগ্যের সহায়তা দরকার. শুধু ভালো খেললেই হবে না। তাহলে তো দক্ষিণ আফ্রিকার তিন-চারটা বিশ্বকাপ জেতার কথা ছিল। ওই লাকটা থাকতে হবে। একই সঙ্গে ভালোও খেলতে হবে। নির্দিষ্ট টুর্নামেন্টে ভালো খেলতে হবে। তবে শুধু পাঁচজনকে দিয়ে বিশ্বকাপ জেতা সম্ভব নয়। দল হিসেবে খেলতে হবে। তবে কোনো শিরোপা জয় একটা দলের মানদণ্ড নয়। ধারাবাহিক ভালো খেলাই হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ। এটা ঠিক. জুনিয়ররা ২০১৫ সালে যেভাবে খেলেছিল. সেভাবে খেলতে পারলে অনেক কিছু সম্ভব ছিল। ওদের অনেক ভূমিকা আছে। আর সিনিয়রদের সমর্থন তো আছেই।’ সাকিব আল হাসান ‘সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাবে না। ওয়ানডেতে আমরা ভালো একটা দল। কন্ডিশন আমাদের পক্ষে না থাকলেও যে ভালো করব না. তা নয়। আমাদের উড়িয়ে দেওয়া যাবে না। তবে কিছু একটা করেই ফেলব. সেটিও বলা ঠিক হবে না।’ তামিম ইকবাল‘অবশ্যই সম্ভব। এই সম্ভবকে সত্যি করতে হলে আমাদের অনেক পরিশ্রম করতে হবে। দল হিসেবে ভালো করতে হবে। দুই-তিনজনে বড় ট্রফি জেতা সম্ভব নয়।’ মুশফিকুর রহিম ‘আমাদের অবশ্যই স্বপ্ন দেখা উচিত ২০১৯ বিশ্বকাপে ভালো করার। বিশ্বকাপের সূচিটা যেভাবে করা হয়েছে তাতে অবশ্যই ভালো করা উচিত। আমরা পাঁচজন যেভাবে ভালো খেলছি. যদি ফিট থেকে খেলতে পারলে আশা করি ভালো কিছু আশা করতেই পারি। মাহমুদউল্লাহ‘বিশ্বাসটা আমাদের আছে. আমরা বড় কোনো টুর্নামেন্ট জিততে পারব। এর আগে আমরা ৪-৫টা ফাইনাল খেললাম। ফাইনালে শেষ যে বাধাটা সেটা আমরা পার হতে পারছি না। এ বিষয়ে আমাদের মনোযোগ আছে। আমাদের যেকোনো ক্যাম্প শুরু হলে মাশরাফি ভাই এই বিষয়টা নিয়ে কথা বলছে. পরে সুযোগটা আবার এলে আমাদের কী করা উচিত. যেভাবে খেলেছি আগে. কী ভিন্ন চিন্তা করলে আমরা এটা কাটিয়ে উঠতে পারি. এসব নিয়ে নিজেদের মধ্যে কথা বলি। এ জিনিসগুলো খুঁজে বের করা. কোন জায়গায় আমাদের ঘাটতি আছে এটা কাটিয়ে উঠতে হবে। সামনে যদি এ ধরনের সুযোগ আসে. বলব যে আমি অন্তত এ সুযোগ হারাতে চাই না।’
1,572,714
2019-01-01
গত বছর হারিয়েছি যাঁদের
null
বিনোদন প্রতিবেদক
null
https://www.prothomalo.com/entertainment/article/1572712/%E0%A6%97%E0%A6%A4-%E0%A6%AC%E0%A6%9B%E0%A6%B0-%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A7%87%E0%A6%9B%E0%A6%BF-%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%81%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0
entertainment
online
5
null
শেষ হয়েছে ২০১৮ সাল। এ বছর বিনোদন-সংস্কৃতির বেশ কয়েকজন গুণী মানুষকে হারিয়েছি আমরা। তাঁদের জন্য থাকল শ্রদ্ধাঞ্জলি। শেষ হয়েছে ২০১৮ সাল। এ বছর বিনোদন-সংস্কৃতির বেশ কয়েকজন গুণী মানুষকে হারিয়েছি আমরা। তাঁদের জন্য থাকল শ্রদ্ধাঞ্জলি। আমজাদ হোসেনকিংবদন্তি চলচ্চিত্র নির্মাতা. গীতিকার. চিত্রনাট্যকার. অভিনয়শিল্পী ও লেখক আমজাদ হোসেন মারা যান গত ১৪ ডিসেম্বর। ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন। জনপ্রিয় সব চলচ্চিত্রের জন্য তিনি বিখ্যাত। তাঁর নির্মিত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র হলো নয়নমণি. গোলাপী এখন ট্রেনে. সুন্দরী. কসাই. দুই পয়সার আলতা. জন্ম থেকে জ্বলছি. হীরা মতি. ভাত দে ইত্যাদি। বাংলা চলচ্চিত্রের গানের জন্যও তিনি বিখ্যাত। তাঁর লেখা ও নির্মিত চলচ্চিত্রের গানগুলোর মধ্যে অন্যতম ‘জন্ম থেকে জ্বলছি মাগো’. ‘আমি আছি থাকব ভালোবেসে মরব’. ‘হায়রে কপাল মন্দ চোখ থাকিতে অন্ধ’. ‘কেউ কোনো দিন আমারে তো কথা দিলো না’. ‘একবার যদি কেউ ভালোবাসত’। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের পাশাপাশি বাংলা একাডেমি পুরস্কারসহ অসংখ্য পুরস্কার পেয়েছেন। আইয়ুব বাচ্চুবাংলা ব্যান্ড ও আধুনিক গানের অন্যতম প্রাণপুরুষ আইয়ুব বাচ্চু মারা যান গত ১৮ অক্টোবর। হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন এই শিল্পী। বাংলা গানের এই অমর শিল্পীর জন্ম ষাটের দশকে চট্টগ্রামে। ব্যান্ড-জীবনে তিনি ফিলিংস ও সোলসেরও সদস্য ছিলেন। পরে নিজের ব্যান্ড এলআরবি গঠন করেন। তাঁর উল্লেখযোগ্য ব্যান্ড ও একক অ্যালবাম হলো এলআরবি. সুখ. ফেরারী মন. যুদ্ধ. রক্ত গোলাপ. কষ্ট. সময়. বলিনি কখনো. জীবনের গল্প ইত্যাদি। তাঁর সেরা কিছু গানের মধ্যে আছে ‘চলো বদলে যাই’. ‘এই রুপালি গিটার’. ‘ফেরারী মন’. ‘এখন অনেক রাত’. ‘কষ্ট পেতে ভালোবাসি’. ‘উড়াল দেব আকাশে’ ইত্যাদি। আনোয়ার হোসেনখ্যাতিমান আলোকচিত্রী. চিত্রগ্রাহক ও মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন মারা যান গত ১ ডিসেম্বর। তাঁর অসাধারণ কাজগুলোর একটি হলো মুক্তিযুদ্ধের সময় একহাতে রাইফেল ও অন্য হাতে ক্যামেরা নিয়ে অংশগ্রহণ। স্বাধীনতার পরে আলোকচিত্র ও চিত্রগ্রহণ ছিল তাঁর উল্লেখযোগ্য কাজ। বাংলাদেশের অসাধারণ সব চলচ্চিত্রের চিত্রগ্রাহক ছিলেন তিনি। চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে অন্যতম সূর্য দীঘল বাড়ি. এমিলের গোয়েন্দা বাহিনী. পুরস্কার. অন্য জীবন. লাল সালু ইত্যাদি। সাইদুল আনাম টুটুলঅভিনয়শিল্পী এবং ছোট ও বড় পর্দার গুণী নির্মাতা ও চিত্র সম্পাদক সাইদুল আনাম টুটুল মারা যান গত ১৮ ডিসেম্বর। বাংলাদেশের অনেকগুলো বিখ্যাত চলচ্চিত্রের চিত্র সম্পাদক ছিলেন তিনি। তা ছাড়া টেলিভিশনে বেশ কিছু নাটক নির্মাণ ও অভিনয় করেছেন। তাঁর নির্মিত ছবি আধিয়ার। এ ছাড়া সরকারি অনুদানে নির্মাণ করছিলেন কালবেলা ছবিটি। এটি শেষ করার আগেই তিনি মারা যান। তাঁর সম্পাদিত উল্লেখযোগ্য সিনেমা হলো সূর্য দীঘল বাড়ি. ঘুড্ডি. দহন. দীপু নাম্বার টু. দুখাই ইত্যাদি। আলী আকবর রুপুবছরের প্রথম দিকে ২২ ফেব্রুয়ারি মারা যান বরেণ্য সুরকার ও সংগীত পরিচালক আলী আকবর রুপু। বেশ কিছু বিখ্যাত গানের সুর ও সংগীত করেন এই গুণী মানুষটি। তাঁর উল্লেখযোগ্য গানের মধ্য আছে ‘একদিন কান্নার রোল পড়বে আমার বাড়িতে’. ‘যারে ঘর দিলা সংসার দিলা রে’. ‘দরদিয়া’. ‘পদ্মপাতার পানি নয়’. ‘কবিতার মতো মেয়েটি. গল্পের মতো ছেলেটি’ ইত্যাদি। জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’তে আলী আকবর রুপু প্রায় ২৫ বছর ধরে বিভিন্ন গানের সুর ও কম্পোজ করেছেন। রানী সরকারচলচ্চিত্রের বরেণ্য অভিনেত্রী রানী সরকার মারা যান ৭ জুলাই। তিনি বাংলা চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য স্মরণীয় হয়ে আছেন। তাঁর অভিনয়জীবন শুরু হয় ১৯৫৮ সালে। শুরুতেই মঞ্চনাটকে অভিনয় করেন। ওই বছর তাঁর চলচ্চিত্রে অভিষেক হয় এ জে কারদার পরিচালিত দূর হ্যায় সুখ কা গাঁও চলচ্চিত্রের মাধ্যমে। এরপর এহতেশামুর রহমান পরিচালিত উর্দু চলচ্চিত্র চান্দাতে অভিনয় করেন। এরপর উর্দু ছবি তালাশ ও বাংলা ছায়াছবি নতুন সুর-এ কেন্দ্রীয় নারী চরিত্রে অভিনয় করেন। এই ছবি দুটি বেশ জনপ্রিয় হয়। গত শতকের ষাট. সত্তর ও আশির দশকে চলচ্চিত্রে তিনি বেশি অভিনয় করেন। ২০১৬ সালে বাংলা চলচ্চিত্রে অবদানের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে আজীবন সম্মাননা পুরস্কার দেওয়া হয় তাঁকে। বিদেশিবলিউড. হলিউডসহ বেশ কিছু তারকাকে হারিয়েছি এ বছর। তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন সংগীতশিল্পী অ্যারেথা ফ্রাঙ্কলিন. বলিউড অভিনেত্রী শ্রীদেবী. কমিক সুপারহিরো স্রষ্টা স্ট্যান লি. ডিজে ও সংগীতশিল্পী আভিকি. হলিউড অভিনেতা বার্ট রেনল্ডস. পরিচালক বার্নার্দো বার্তোলুচ্চি।
1,572,712
2019-01-01
গেল বছর ভালো যায়নি বিশ্ব পুঁজিবাজার
null
অনলাইন ডেস্ক
null
https://www.prothomalo.com/economy/article/1572711/%E0%A6%97%E0%A7%87%E0%A6%B2-%E0%A6%AC%E0%A6%9B%E0%A6%B0-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%8B-%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A7%9F%E0%A6%A8%E0%A6%BF-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%AC-%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%81%E0%A6%9C%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%B0
economy
online
5
বিদেশের খবর
বিশ্ব পুঁজিবাজারের জন্য বিদায়ী বছরটি খুব একটা স্বস্তিদায়ক ছিল না। এক দশকের মধ্যে ২০১৮ সালে সবচেয়ে খারাপ অবস্থার মুখে পড়ে যুক্তরাষ্ট্রের পুঁজিবাজার। ওয়াল স্ট্রিটের মতো খারাপ অবস্থা না হলেও বছরজুড়ে নেতিবাচক প্রভাব ছিল ইউরোপ ও এশিয়ার পুঁজিবাজারেও। বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়। বছর শেষে যুক্তরাষ্ট্রের ডাও জোন্স সূচক কমেছে ৫ দশমিক ৬ পয়েন্ট। এস অ্যান্ড পুওর ৫০০ কমেছে ৬ দশমিক ২ শতাংশ। নাসডাক হারিয়েছে ৩ দশমিক ৯ শতাংশ দর। ২০০৮ সালের অর্থনৈতিক সংকটের পর এমন পতন দেখেনি এই পুঁজিবাজার। আসলে বছরজুড়ে যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্যযুদ্ধের ঝাপটা ও বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধির শ্লথগতির কারণে নেতিবাচক অবস্থানে চলে যায় যুক্তরাষ্ট্রের পুঁজিবাজার। এর মধ্যে দেশটির রাজনৈতিক অস্থিরতা ও প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিপক্ষে গিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বারবার সুদের হার বাড়ানোর বিষয়টিও পুঁজিবাজারে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। এশিয়ার পুঁজিবাজারের ক্ষেত্রে বছর শেষে হংকংয়ের হ্যাংসেং সূচক কমেছে ১৪ শতাংশ। জাপানের নিকেই হারিয়েছে ১৫ শতাংশ দর। এক বছরে চীনের সাংহাই কম্পোজিট সূচক কমেছে ২৫ শতাংশ। অন্যদিকে. যুক্তরাজ্যের প্রধান সূচক বছর শেষে কমেছে ১২ শতাংশ।
1,572,711
2019-01-01
ঝলমলে আলোয় বর্ষবরণ
null
অনলাইন ডেস্ক
null
https://www.prothomalo.com/international/article/1572709/%E0%A6%9D%E0%A6%B2%E0%A6%AE%E0%A6%B2%E0%A7%87-%E0%A6%86%E0%A6%B2%E0%A7%8B%E0%A7%9F-%E0%A6%AC%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%AC%E0%A6%B0%E0%A6%A3
international
online
5
ছবির গল্প|ইংরেজি নববর্ষ
বিদায় নিল আরও একটি বছর। জীবনের হিসেবে অতীত হলো ২০১৮। বরাবরের মতো নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর অধীর অপেক্ষার ছিল বিশ্ব। নতুনের আবাহনে দেশে দেশে জমকালো. চোখ ধাঁধানো আয়োজনে মাতে বিশ্ববাসী। খ্রিষ্টীয় নববর্ষ উদযাপনের জন্য বিশ্বের বিভিন্ন শহরে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। যেসব শহরে বড় ধরনের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়. তার মধ্যে রয়েছে হংকং. টোকিও. মস্কো. প্যারিস. বার্লিন. লন্ডন ও এডিনবার্গ। এসব উৎসব ঘিরে নেওয়া হয় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থাও। ছবিতে দেখা যাক বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নববর্ষ উৎসব।
1,572,709
2019-01-01
২০১৮ সালের সেরা ফোন কোনটি?
সিনেটের চোখে
অনলাইন ডেস্ক
null
https://www.prothomalo.com/technology/article/1572710/%E0%A7%A8%E0%A7%A6%E0%A7%A7%E0%A7%AE-%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A6%B0%E0%A6%BE-%E0%A6%AB%E0%A7%8B%E0%A6%A8-%E0%A6%95%E0%A7%8B%E0%A6%A8%E0%A6%9F%E0%A6%BF
technology
online
5
মোবাইল ফোন
প্রতি বছর নানা রকম উদ্ভাবনী ফিচার নিয়ে নতুন স্মার্টফোন বাজারে আসে। এর মধ্যে কয়েকটি অনেক বেশি জনপ্রিয়তা পায়। ২০১৮ সালের স্মার্টফোনের বাজার পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে বেশ কয়েকটি ব্র্যান্ডের স্মার্টফোন জনপ্রিয় হয়েছিল। এর মধ্যে অ্যাপল. স্যামসাং ও গুগলের তিনটি ফোন বেশি জনপ্রিয় হয়েছে। প্রযুক্তি বিষয়ক ওয়েবসাইট সিনেটের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে. ২০১৮ সালে আইফোন এক্সআর. গ্যালাক্সি এস ৯. ও পিক্সেল ৩ ফোনটি জনপ্রিয় হয়েছিল। অবশ্য ফোনের জনপ্রিয়তা. বাজারে আসার পরিমাণ. এর ক্যামেরাসহ যন্ত্রাংশের মান বিবেচনা ধরলে প্রিমিয়াম ফোনের বাজারে স্যামসাং. অ্যাপল. ও হুয়াওয়ে প্রাধান্য পেয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে স্যামসাং ও তিনে থাকা অ্যাপলের ফোন বিক্রি কমেছে। তবে উদ্ভাবনী বৈশিষ্ট্যের দিক থেকে চীনা ব্র্যান্ড অপো ও ভিভো চমক দেখিয়েছে। ২০১৯ সালেও স্মার্টফোনের বাজারে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মধ্যে প্রতিযোগিতা বাড়তে দেখা যাবে। নতুন বছরে ৫জি নেটওয়ার্ক সমর্থিত ফোন আনবে স্যামসাং. এলজি ও ওয়ানপ্লাস। এ ছাড়া নতুন বছরে ভাঁজ করা ফোনের দেখা মিলতে পারে। ২০১৮ সালে সিনেটের দৃষ্টিতে সেরা ফোনের তালিকা: ক্যামেরায় সেরা: গুগল পিক্সেল ৩ দামের দিকে সেরা আইফোন: এক্সআর মডেল অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের জন্য: গ্যালাক্সি নোট ৯ মিডরেঞ্জের সেরা: ওয়ানপ্লাস ৬ টি সেরা সাশ্রয়ী ফোন: মটো জি৬ শক্তিশালী ও সেরা নকশা: হুয়াওয়ে মেট ২০ প্রো অলরাউন্ডার: এলজি ভি৪০ থিংককিউ ২০১৮ সালের সেরা উদ্ভাবনী ফোন নকশা ও পেছনে তিন ক্যামেরা: হুয়াওয়ে পি২০ প্রো পপ আপ ক্যামেরা মডিউল: অপো ফাইন্ড এক্স প্রথম ইনস্ক্রিন ফিঙ্গারপ্রিন্ট রিডার: ভিভো এক্স ২১ গেমিং ফোন: রেজার ফোন ২ মুভি নির্মাণে: রেড হাইড্রোজেন ওয়ান ফোনের বাজারে বিজয়ী যারা অ্যাপল: আইফোন বিক্রি থেকে ব্যাপক মুনাফা করায় ট্রিলিয়ন ডলার কোম্পানিতে পরিণত হয় অ্যাপল। ওয়ানপ্লাস: যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে টি-মোবাইলের সঙ্গে চুক্তি হওয়ায় ফোন বিক্রি ২৪৯ শতাংশ বেড়েছে। স্যামসাং: বিশ্বের স্মার্টফোন বাজারের শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে স্যামসাং। হুয়াওয়ে: অ্যাপলকে হটিয়ে স্মার্টফোন বাজারের দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে হুয়াওয়ে। ধাক্কা খেল যারা: হুয়াওয়ে: যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীনের বাণিজ্যযুদ্ধের ধাক্কায় বড় ধাক্কা খেয়েছে চীনের প্রযুক্তিপণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি। জেডটিই: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জেডটিইর ব্যবসার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করায় বিপদে পড়ে জেডটিই। পাম: স্মার্টফোন বাজারে সাড়ম্বরে ফেরার ঘোষণা দিলেও দামি এক ডিভাইস আনায় বাজার ধরতে পারেনি প্রতিষ্ঠানটি।
1,572,710
2019-01-01
নতুন বছরে ৫ চমক
null
অনলাইন ডেস্ক
null
https://www.prothomalo.com/technology/article/1572708/%E0%A6%A8%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%A8-%E0%A6%AC%E0%A6%9B%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A7%AB-%E0%A6%9A%E0%A6%AE%E0%A6%95
technology
online
5
খবরাখবর
চলে এসেছে নতুন বছর। নতুন বছরে তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে নতুন চমক দেখার আশায় থাকেন প্রযুক্তিপ্রেমীরা। প্রযুক্তি বিশ্বের বড় বড় প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের হতাশ করে না। ২০১৯ সালেও তাই অ্যাপল. গুগল. মাইক্রোসফট. আমাজন. স্যামসাংয়ের কাছ থেকে নতুন চমক দেখা যেতে পারে। প্রযুক্তিবিশ্বে সাড়া জানানো কয়েকটি প্রযুক্তিপণ্য এ বছর ঘোষণা দিতে পারে এ পাঁচ প্রতিষ্ঠান। চলুন জেনে আসি সম্ভাব্য সে পণ্যগুলো সম্পর্কে: চলে এসেছে নতুন বছর। নতুন বছরে তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে নতুন চমক দেখার আশায় থাকেন প্রযুক্তিপ্রেমীরা। প্রযুক্তি বিশ্বের বড় বড় প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের হতাশ করে না। ২০১৯ সালেও তাই অ্যাপল. গুগল. মাইক্রোসফট. আমাজন. স্যামসাংয়ের কাছ থেকে নতুন চমক দেখা যেতে পারে। প্রযুক্তিবিশ্বে সাড়া জানানো কয়েকটি প্রযুক্তিপণ্য এ বছর ঘোষণা দিতে পারে এ পাঁচ প্রতিষ্ঠান। চলুন জেনে আসি সম্ভাব্য সে পণ্যগুলো সম্পর্কে: অ্যাপলপ্রযুক্তি বিশ্বে অ্যাপল নতুন বছরে নতুন চমক নিয়ে হাজির হয় সব সময়। ২০১৮ সালে আইপ্যাড প্রো কিংবা নতুন আইফোন বাজারে আনলেও অ্যাপলের সময়টা ভালো যায়নি। কিন্তু বাজার বিশ্লেষকেরা পূর্বাভাস দিচ্ছেন ২০১৯ সালটি অ্যাপলের জন্য দুর্দান্ত একটি বছর হবে। এ বছরে অ্যাপলের কাছ থেকে বেশ কিছু চমক দেওয়া নতুন পণ্য দেখতে পাওয়া যাবে। এ বছর অ্যাপল বাজারে ছাড়তে পারে আইফোন ১১। এ ছাড়া নতুন এয়ারপড. নতুন ম্যাক প্রো বাজারে ছাড়বে অ্যাপল। এর বাইরে অ্যাপল ব্র্যান্ডের নতুন হেডফোন বাজারে আসতে পারে বলেও গুঞ্জন রয়েছে। নতুন আইম্যাক. নতুন অ্যাপল পেনসিল ছাড়াও নতুন রূপে আসতে পারে ভার্চ্যুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট সিরি। অ্যাপল টিভির নতুন সংস্করণও দেখা যেতে পারে। এর বাইরে সাশ্রয়ী দামের নতুন আইফোন মডেলের ধারা অব্যাহত রাখতে পারে অ্যাপল। গুগল২০১৮ সালে গুগলের ফোন কিংবা হোম হাবের চেয়ে বেশি আলোচনায় ছিল গুগল ডুপ্লেক্স। গুগলের দারুণ এআই সিস্টেম এটি। ২০১৮ সালে গুগলের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও ভার্চ্যুয়াল সফটওয়্যারের ওপর গুরুত্ব বাড়তে দেখা গেছে। এ বছর গুগল অ্যাসিস্ট্যান্ট নির্ভর থার্ড পার্টি ডিভাইস দেখা যেতে পারে। এর বাইরে বড় আকারের গুগল হোম হাব দেখা যাবে এ বছর। এ ছাড়া নতুন বছরে পিক্সেল ফোর স্মার্টফোনের ঘোষণা দিতে পারে গুগল। গুগল নিজস্ব ব্র্যান্ডের ক্রোমবুক আনতে পারে এ বছর। মাইক্রোসফট২০১৮ সালে মাইক্রোসফটকে ঢেলে সাজিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী সত্য নাদেলা। মাইক্রোসফটের অফিস ৩৬৫ সফটওয়্যারের ব্যবহারকারী এখন সাড়ে ১৩ কোটি যারা অর্থের বিনিময়ে এ সেবা নিচ্ছেন। ফলে মাইক্রোসফটের মুনাফা বেড়েছে। এ বছরে মাইক্রোসফট উইন্ডোজ ১০ ওএসের আপডেট আনতে পারে যাতে উইন্ডোজ সেটস নামে নতুন লগইন অপশন যুক্ত হবে। এর বাইরে সারফেস ব্র্যান্ডের নতুন ল্যাপটপ ‘সারফেস৩’ ও ‘সারফেস প্রো ৭’ দেখা যাবে। এ বছর মাইক্রোসফটের কাছ থেকে নতুন সারফেস ব্র্যান্ডের স্মার্টফোনের ঘোষণাও আসতে পারে। আমাজন২০১৮ সাল ছিল আমাজনের জন্য দুর্দান্ত একটি বছর। নতুন ইকো ডটসহ নতুন অ্যালেক্সা ডিভাইস বাজারে আসার পর তা দারুণ জনপ্রিয় হয়েছে। তবে কিছু করপোরেট বিষয়ের কারণে আমাজনকে কিছু ধাক্কা খেতে হয়েছে। তবে ২০১৯ সালটি আমাজনের জন্য আরও এগিয়ে যাওয়ার বছর হবে। এ বছর আমাজন বাজারে আনবে ইকো অটো যাতে ভার্চ্যুয়াল সফটওয়্যার অ্যালেক্সা যুক্ত থাকবে। এর বাইরে আমাজন ব্র্যান্ডের নতুন টিভি. রিং ডোরবেলসহ উদ্ভাবনী বেশ কিছু পণ্য আনবে আমাজন। স্যামসাং২০১৯ সালটি দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিষ্ঠান স্যামসাংয়ের জন্য চ্যালেঞ্জের একটি বছর। এ বছরে গ্যালাক্সি এস ১০ নামের নতুন মডেলের স্মার্টফোন বাজারে আনতে পারে বিশ্বের শীর্ষ স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি। আগামী ফেব্রুয়ারিতে মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেসে গ্যালাক্সি সিরিজে ফ্ল্যাগশিপ স্মার্টফোন হিসেবে এস১০-এ এস১০ প্লাসের ঘোষণা দিতে পারে বিশ্বের শীর্ষ স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি। নতুন স্মার্টফোনে উদ্ভাবনী ফিচারের পাশাপাশি উন্নত প্রযুক্তি ডিসপ্লে যুক্ত করবে স্যামসাং। এর বাইরে ভাঁজ করা মডেলের স্মার্টফোন ও ৫জি সমর্থিত নতুন স্মার্টফোনের ঘোষণা দিতে পারে প্রতিষ্ঠানটি। স্মার্টফোন ছাড়াও ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট সফটওয়্যার বিক্সবিচালিত গ্যালাক্সি হোম স্মার্ট স্পিকার. ৮কে টিভি. ৪কে এইচডিআর কিউএলইডি সেট আনতে পারে স্যামসাং।
1,572,708
2019-01-01
২০১৯ সালে ১৮০–তে চোখ জেমি ডের
null
ক্রীড়া প্রতিবেদক
https://www.prothomalo.com/sports/article/1572704/%E0%A7%A8%E0%A7%A6%E0%A7%A7%E0%A7%AF-%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%87-%E0%A7%A7%E0%A7%AE%E0%A7%A6-%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%9A%E0%A7%8B%E0%A6%96-%E0%A6%9C%E0%A7%87%E0%A6%AE%E0%A6%BF-%E0%A6%A1%E0%A7%87%E0%A6%B0
sports
online
5
ফুটবল
শুরু হওয়া নতুন বছরে র‌্যাঙ্কিংয়ে উন্নতির মানদণ্ড ঠিক করে ফেলেছেন বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের ইংলিশ কোচ জেমি ডে। ২০১৯ সালে ১৮০ র‌্যাঙ্কিং ছুঁতে চান তিনি। শুরু হওয়া নতুন বছরে র‌্যাঙ্কিংয়ে উন্নতির মানদণ্ড ঠিক করে ফেলেছেন বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের ইংলিশ কোচ জেমি ডে। ২০১৯ সালে ১৮০ র‌্যাঙ্কিং ছুঁতে চান তিনি। সাফল্য-ব্যর্থতা মিলিয়ে কেটে গেল আরেকটি বছর। নতুন বছর মানেই পুরোনোকে পেছনে ফেলে সামনের দিকে এগিয়ে চলার লক্ষ্য। আজ শুরু হওয়া নতুন বছরে র‌্যাঙ্কিংয়ে উন্নতির মানদণ্ড ঠিক করে ফেলেছেন বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের ইংলিশ কোচ জেমি ডে। ২০১৯ সালে ১৮০ র‌্যাঙ্কিং ছুঁতে চান তিনি। ফিফা র‍্যাঙ্কিংয়ে সেই তলানিতে থেকেই বছর শেষ করেছে বাংলাদেশ। সর্বশেষ ফিফা র‍্যাঙ্কিংয়ে লাল-সবুজদের অবস্থান ১৯২। কার্যত এর নিচে আর যাওয়ার জায়গা কোথায়! এই খাদ থেকে ওঠার রাস্তা খুঁজছেন জেমি। ১৮০ তে আসতে পারলেই আপাত সন্তুষ্টি বলে জানিয়েছেন. ‘২০১৯ সালে আমার লক্ষ্য থাকবে জাতীয় দলকে ১৮০ র‌্যাঙ্কিংয়ে নিয়ে আসার। এ জন্য আমাদের প্রচুর পরিশ্রম করতে হবে। তবে এর সঙ্গে সঠিক পরিকল্পনা থাকাটাও জরুরি। এই দুটি বিষয় মিলে গেলেই ১৮০ তে আসা আমাদের জন্য সম্ভব।’ র‌্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি ঘটার প্রথম শর্ত বেশি বেশি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা এবং জয় পাওয়া। নতুন বছরে অনেকগুলো আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ খেলিয়ে জাতীয় দলকে তৈরি করার লক্ষ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। কমপক্ষে ১০টি আন্তর্জাতিক ম্যাচের আয়োজন করা হবে বলে জানানো হয়েছে। তালিকায় আছে কম্বোডিয়া. ইন্দোনেশিয়া. মালয়েশিয়া. সিঙ্গাপুর. থাইল্যান্ডসহ আরও বেশ কয়েকটি দেশ। এ ছাড়া চলতি বছরেই শুরু হবে বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব। ফুটবলাররাও অপেক্ষায় আছেন একটি সাফল্যমণ্ডিত বছরের জন্য। কাতারকে হারিয়ে গত বছর এশিয়ান গেমসে ফুটবলের দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠেছিল বাংলাদেশ। এমন স্মরণীয় সাফল্য এ বছর আরও বেশি দেখতে চান তাঁরা। আন্তর্জাতিক ফুটবলে লম্বা বিরতিতে থাকা বাংলাদেশ দল গত বছর ১৭ মাস পরে ফেরে মাঠে। এরপর সাফ. বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ. এশিয়ান গেমস ও প্রীতি ফুটবল মিলিয়ে খেলেছে একাধিক আন্তর্জাতিক ম্যাচ। নতুন বছরেও যেন নিয়মিত ম্যাচের সুযোগ মেলে. জাতীয় দল ও বসুন্ধরা কিংসের গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকো সবার হয়ে সে আরজিটাই জানালেন. ‘গত বছর আমাদের প্রস্তুতির কোনো অভাব ছিল না। এ জন্যই এশিয়াডে এমন ফল পেয়েছিলাম। আমাদের প্রয়োজন বেশি বেশি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা। বেশি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার কারণেই ভারতের ফুটবল আমাদের চেয়ে অনেক দূরে এগিয়ে গেছে। বেশি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাই না বলে আমরা বড় দলগুলোর সঙ্গে খেলতেও ভয় পাই।’
1,572,704
2019-01-01
দুইয়ে মিলে এক হলেন যাঁরা
null
বিনোদন প্রতিবেদক
null
https://www.prothomalo.com/entertainment/article/1572703/%E0%A6%A6%E0%A7%81%E0%A6%87%E0%A7%9F%E0%A7%87-%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A7%87-%E0%A6%8F%E0%A6%95-%E0%A6%B9%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%A8-%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%81%E0%A6%B0%E0%A6%BE
entertainment
online
5
null
এক বছরে বিনোদন মাধ্যমের অনেক তারকাই বসেছেন বিয়ের পিঁড়িতে। দুজন মিলে শুরু করেছেন সংসারজীবন। চলুন জেনে নিই. গত এক বছরে বিয়ের পিঁড়িতে বসলেন কারা। এক বছরে বিনোদন মাধ্যমের অনেক তারকাই বসেছেন বিয়ের পিঁড়িতে। দুজন মিলে শুরু করেছেন সংসারজীবন। চলুন জেনে নিই. গত এক বছরে বিয়ের পিঁড়িতে বসলেন কারা। ইরেশ যাকের-মিম রশিদ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে বিয়ে করেন অভিনেতা ইরেশ যাকের। পাত্রী অভিনেত্রী মিথিলার বোন মিম রশিদ। মিম নিজেও নির্মাণ ও প্রযোজনার সঙ্গে জড়িত। তাঁদের বিয়েতে বিনোদন জগতের অনেক তারকা উপস্থিত হন। এ বছরের মার্চে তাঁদের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা নেপালে হওয়ার কথা থাকলেও পরে তা বাতিল করা হয়। তৌসিফ-সুষমাএ বছরের ফেব্রুয়ারিতে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন ছোটপর্দার অভিনেতা তৌসিফ মাহবুব। তাঁর স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস সুষমা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছেন। সাড়ে তিন বছরের প্রেমের সফল পরিণতি ঘটে তাঁদের বিয়ের মাধ্যমে। বিয়েতে উপস্থিত হন তৌসিফের সব তারকা বন্ধুরা। নাবিলা-রিমউপস্থাপিকা ও অভিনেত্রী মাসুমা রহমান নাবিলা বিয়ে করার ঘোষণা দিয়েছিলেন ২০১৭ সালেই। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন ২০১৮-এর এপ্রিলে। তাঁর বর জুবাইদুল হক রিম বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা। বাপ্পা মজুমদার-তানিয়া হোসাইনএকেবারে ঘরোয়া আয়োজনের মধ্য দিয়ে এ বছরের জুনে গায়ক-সংগীত পরিচালক বাপ্পা মজুমদার এবং অভিনয়শিল্পী-উপস্থাপিকা তানিয়া হোসাইনের বিয়ে করেন। এর আগে ১৬ মে দুই পরিবারের উপস্থিতিতে বাপ্পা মজুমদার ও তানিয়ার বাগদান অনুষ্ঠিত হয়। এতে বাপ্পা ও তানিয়ার পরিবারের সদস্যরা ছাড়াও অভিনয় ও সংগীতজগতের ঘনিষ্ঠরাই উপস্থিত ছিলেন। শবনম ফারিয়া-হারুনুর রশীদবিয়ের গুঞ্জন উঠেছিল আগেই। তবে পুরো বিয়ের ব্যাপারটি বছরের শেষে এসে খোলাসা করেন ছোটপর্দার অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। বিয়ের কথা জানান দেশের সংবাদমাধ্যমে। তাঁর বর হারুনুর রশীদ একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত। তাঁদের বিয়েতে অংশ নেন বিনোদন মাধ্যমের অনেক তারকা। তবে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা অর্থাৎ বৌভাত অনুষ্ঠিত হবে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে। সিয়াম-অবন্তিবছরের শেষে এসে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন চলচ্চিত্র অভিনেতা সিয়াম আহমেদ। দীর্ঘদিনের প্রেমিকা শাম্মা রুশাফি অবন্তিকে করেন জীবনসঙ্গী। বিয়ে প্রসঙ্গে সিয়াম জানান. একেবারে হুট করেই বিয়ের পরিকল্পনা করেছি। দুই পরিবারের সম্মতি ও আয়োজনেই বিয়ে হয়েছে। সিয়ামের স্ত্রী অবন্তি পড়াশোনা শেষ করে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছেন।
1,572,703
2019-01-02
পরিকল্পনা কমিশন চালাবেন কারা?
জনপ্রশাসন
আলী ইমাম মজুমদার
https://www.prothomalo.com/opinion/article/1572916/%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%AA%E0%A6%A8%E0%A6%BE-%E0%A6%95%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A6%A8-%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%A8-%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BE
opinion
print
1
আলী ইমাম মজুমদার|অর্থনীতি
সরকার ইকোনমিক ক্যাডার ভেঙে দিয়ে বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের সঙ্গে একীভূত করেছে। এরপর নিয়োগ হবে বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারেই। এতে ক্যাডারের সংখ্যা ২৭ থেকে কমে হলো ২৬। ইকোনমিক ক্যাডার গঠিত হয়েছিল ১৯৮৫ সালে। এখন এর জনবল ৪৬৪ জন। তাঁদের পদবি সহকারী প্রধান. সিনিয়র সহকারী প্রধান. উপপ্রধান. যুগ্ম প্রধান ও বিভাগীয় প্রধান নামে। এগুলো যথাক্রমে সহকারী সচিব. সিনিয়র সহকারী সচিব. উপসচিব. যুগ্ম সচিব. অতিরিক্ত সচিবের সমান্তরাল পদবি। সুযোগ-সুবিধা কাছাকাছিই ছিল। তবে পদোন্নতিতে কিছুটা পিছিয়ে ছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। এখন পদবি ও কর্মক্ষেত্র একই হয়ে গেল। ইকোনমিক ক্যাডারের অপেক্ষাকৃত তরুণ কর্মকর্তাদের মাঠ প্রশাসনে কাজ করারও সুযোগ সৃষ্টি করা হয়েছে। তেমনি পরিকল্পনা কমিশনেও কাজ করতে পারবেন সচিবালয়ের কর্মকর্তারা। সেখানে সদস্যের অধীনে অতিরিক্ত. যুগ্ম. উপ ও সহকারী সচিবেরা থাকবেন। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়েরও পরিকল্পনা কোষে ইকোনমিক ক্যাডারের কর্মকর্তারা কাজ করছেন। এখন তাঁদের পদবি পরিবর্তনের পাশাপাশি তাঁরা অন্য শাখা. অধিশাখা কিংবা অনুবিভাগে কাজের অধিকার পেলেন। পারস্পরিক বদলিযোগ্য হয়ে গেল পদগুলো। জানা গেছে. দুই ক্যাডারের কর্মকর্তাদের আগ্রহে এ সিদ্ধান্তটি নেওয়া হয়েছে। এ ধরনের সিদ্ধান্ত সরকার নিতেই পারে। তবে এটা যথাযথভাবে পর্যালোচনা করা হয়েছে কি না. এ বিষয়ে সংশয় রয়েছে। নতুন ক্যাডার সৃজন বা একাধিক ক্যাডারের একীভূতকরণ সরকারের আওতাধীন কাজ। তবে চাকরির শর্তাবলি পরিবর্তিত হচ্ছে বিধায় সরকারি কর্ম কমিশনের মতামত সাংবিধানিকভাবে আবশ্যক। সিদ্ধান্তটি সম্পর্কে কিছু প্রশ্ন ও সংশয় সামনে আসে। প্রথমত. সচিবালয়ের সচিব থেকে সহকারী সচিবের পদগুলো নির্বিচারে প্রশাসন ক্যাডারের নয়। সহকারী সচিব পদে পদোন্নতির মাধ্যমেও কিছু নিয়োগের ব্যবস্থা আছে। আর উপসচিব ও যুগ্ম সচিব পদে যথাক্রমে ২৫ ও ৩০ শতাংশ পদ সংরক্ষণের ব্যবস্থা রয়েছে প্রশাসন ক্যাডার ব্যতীত অন্য ক্যাডারগুলোর জন্য। সেখানে ইকোনমিক ক্যাডারের কিছু কর্মকর্তাও কাজ করছেন। অবশ্য গত কয়েক বছরে মঞ্জুরীকৃত পদসংখ্যার অনেক বেশি সংখ্যায় পদোন্নতি দেওয়ায় সে অনুপাত রক্ষা করা গেছে বলে মনে হয় না। কিন্তু এখন সচিব পদে অন্যান্য ক্যাডারের কর্মকর্তা আছেন বেশ কয়েকজন। থাকাই যথার্থ। জানা যায়. মূল ক্ষোভটা ছিল একই সময়ে ইকোনমিক ক্যাডারের লাইন পদে পদোন্নতি না হওয়া নিয়ে। বিসিএসের সব ক্যাডারে একসঙ্গে একই ব্যাচের কর্মকর্তাদের পদোন্নতি হয় না। মেধাক্রমও একটি মুখ্য বিবেচ্য বিষয় থাকে। তবে সচিবালয়ে সাম্প্রতিক কালে পদবিহীন পদোন্নতিগুলো এসব প্রশ্ন সামনে নিয়ে আসার সুযোগ করে দিয়েছে। ইতিমধ্যে পুলিশেও এ ধরনের পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। দাবি আরও আসতে থাকবে। সেই রাস্তা খোলা হয়েছে সচিবালয় থেকেই। এখন ইকোনমিক ক্যাডার বিলুপ্তির পর পরিকল্পনা কমিশনের পদগুলোও হিসাবে আসবে। সেখানে এক বিভাগীয় প্রধানের স্থানে তিনজন অতিরিক্ত সচিব পদায়ন করা হলে বিস্মিত হব না। প্রশ্ন হলো. প্রকল্প দলিল কারা বানাবেন আর কারাই বা করবেন এর পর্যালোচনা ও চূড়ান্ত রূপ দেওয়ার কাজ। প্রকল্প দলিল মূলত সংশ্লিষ্ট সংস্থা থেকে খসড়া করা হয়। এটার প্রয়োজনীয় পরিমার্জন হয় মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা কোষে। আর তৃতীয় নেত্রে দেখা হয় পরিকল্পনা কমিশনে। সেখানেই এটা হয় চূড়ান্ত। কমিশনের সদস্য পদে কখনো কখনো ইকোনমিক ক্যাডারের কেউ ছিলেন। তবে এখন পর্যন্ত পদগুলো উন্মুক্ত। সচিবদের থেকেই কিংবা চুক্তিতে এ পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। তাঁরা একেকটি বিভাগের নেতৃত্বে থাকেন। সহায়তা করছিলেন ইকোনমিক ক্যাডারের কর্মকর্তারা। এ ছাড়া কমিশনে এসডিজি. এমডিজি. প্রেক্ষিত পরিকল্পনা আর পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনাও চূড়ান্ত করা হয়। এরই অংশ হিসেবে তৈরি হয় বার্ষিক উন্নয়ন পরিকল্পনা। ইকোনমিক ক্যাডারের কর্মকর্তারা তাঁদের বিশেষায়িত জ্ঞান দিয়েই প্রকল্প দলিল চুলচেরা বিশ্লেষণ করে সদস্যের কাছে উপস্থাপন করতেন। তারপর হয় প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির সভা। সে পর্যায়ে সবার মতামত নিয়ে প্রয়োজনীয় সংশোধনীসহ দলিলটি চূড়ান্ত করে পরিকল্পনামন্ত্রীর কাছে পেশ করা হয়। তাঁর আওতায় যেটুকু থাকে তাতে তিনি অনুমোদন দেন। বাকিগুলো পাঠান একনেকে। এই যাচাই-বাছাইয়ের কাজগুলো এখন আর বিশেষায়িত জ্ঞানের অধিকারী ব্যক্তিদের হাতে থাকছে না। এমনকি মন্ত্রণালয়ের প্রকল্পের খসড়া তৈরির কাজেও থাকবেন সাধারণ ক্যাডারের সদস্যরাই। তা ছাড়া. এ ধরনের বিশেষায়িত জ্ঞানের কিছু কর্মকর্তা পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের পরিদর্শন. পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) কাজের জন্যও আবশ্যক ছিল। ক্যাডারটি প্রশাসন ক্যাডারের সঙ্গে একীভূত না করেও সুযোগ-সুবিধার কোনো অসমতা থাকলে তা দূর করা সম্ভব ছিল। যখন অনেক বড় বড় প্রকল্প আমাদের সামনে আসছে. তখন প্রয়োজন ছিল এ ক্যাডারটির আরও দক্ষতা বৃদ্ধি। দুর্ভাগ্যজনকভাবে ঘটল বিপরীতটা। বিসিএস ট্রেড ক্যাডারের মঞ্জুরীকৃত পদসংখ্যা এখন সাকল্যে ২৮. কর্মরত আছেন ১৫ জন। বর্তমান প্রতিযোগিতামূলক যুগে বাণিজ্য একটি বিশেষায়িত বিষয়। এ বিষয়ে ধারাবাহিক অভিজ্ঞতাসম্পন্ন কর্মকর্তা অনেক প্রয়োজন। তাঁরা কাজ করতে পারেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়. আমদানি ও রপ্তানি নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়. রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোসহ নবগঠিত বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটিতে (বিডা)। এগুলোর হিসাব-নিকাশ করা না হলে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা ব্যাহত হতে পারে। ইকোনমিক ক্যাডার প্রশাসন ক্যাডারের সঙ্গে একীভূতকরণের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ঘোষিত হয়েছে। এ পর্যায়ে হয়তো কিছু করার নেই। তবে বিকল্প খুঁজতে হবে। পদ-পদবি পরিবর্তিত হয়ে গেছে. সেটা যাক। প্রথম নিয়োগের পর মাঠ প্রশাসনের কাজ শেষ করে সচিবালয়ে নিয়োগ দেওয়ার সময় একটি অংশকে অর্থনৈতিক পরিকল্পনা প্রণয়ন-সংক্রান্ত কাজের জন্য পৃথক করা চলে। তাঁরা পরিকল্পনা কমিশনসহ এ ধরনের কাজই করবেন। এতে কারও চাকরিতে পদোন্নতির সুযোগ হ্রাস পাওয়ার কথা নয়। বিশেষায়িত জ্ঞানসম্পন্ন কর্মকর্তাও কিছু থাকবেন। মন্ত্রণালয়গুলো কয়েকটি গুচ্ছে বিভক্ত করার প্রস্তাবটিতে কোনো রাজনৈতিক বাধা থাকার কথা নয়। এতে কারও চাকরির সুযোগ-সুবিধাও হ্রাস পাবে না। ভারতের আইএএসদেরও এখন গুচ্ছের ভিত্তিতে পদায়ন করা হয়। প্রশাসন ক্যাডার সদস্যদের সব বিষয়ে কিছু কিছু ধারণা থাকতে হবে। তবে একটি বা দুটি বিষয়ে তাঁদের বিশেষ জ্ঞান বা অভিজ্ঞতার অধিকারী হতেই হবে। নইলে একপর্যায়ে তাঁদের প্রাসঙ্গিকতাই প্রশ্নের সম্মুখীন হতে পারে। আলী ইমাম মজুমদার. সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিবmajumderali1950@gmail.com
1,572,916
2019-01-02
উন্মুক্ত হচ্ছে ঐতিহ্য জাদুঘর
null
নিজস্ব প্রতিবেদক. ঢাকা
null
https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1572915/%E0%A6%89%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4-%E0%A6%B9%E0%A6%9A%E0%A7%8D%E0%A6%9B%E0%A7%87-%E0%A6%90%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B9%E0%A7%8D%E0%A6%AF-%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%81%E0%A6%98%E0%A6%B0
bangladesh
print
1
ইতিহাস|ঐতিহ্য|জাদুঘর
আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন আগেই হয়েছে। এখন দর্শকদের জন্য উন্মুক্ত হচ্ছে এশিয়াটিক সোসাইটি ঐতিহ্য জাদুঘর। কাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটির ৬৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে প্রতিষ্ঠানটির সদস্যদের পরিদর্শনের জন্য খুলে দেওয়া হবে নগরের নতুন এ জাদুঘরের দ্বার। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে নয়টা থেকে বেলা দুইটা পর্যন্ত খোলা থাকবে এ প্রতিষ্ঠানটি। জাদুঘরের কিউরেটর জাহাঙ্গীর হোসেন প্রথম আলোকে বলেন. আপাতত পরীক্ষামূলকভাবে সাধারণ দর্শকদের জন্য প্রতি শুক্র ও শনিবার খোলা থাকবে ঐতিহ্য জাদুঘর। শুক্র. শনিবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। শুক্রবার বেলা ১টা থেকে ২টা পর্যন্ত নামাজের বিরতি। কিউরেটর জাহাঙ্গীর হোসেন আরও বলেন. ঢাকার আদি নবাবদের স্মৃতিবিজড়িত নিমতলী প্রাসাদ বাংলাদেশ তথা দক্ষিণ এশিয়ার একটি ঐতিহ্যবাহী স্থাপনাকে সংরক্ষণ করেছে। এতে ১৭০০ থেকে ১৯০০ শতাব্দীর সময়কালের ইতিহাস ও ঐতিহ্য নিয়ে জাদুঘর স্থাপন করা হয়েছে। এ ঐতিহ্যবাহী স্থাপনাকে জাদুঘরে রূপান্তরের পাশাপাশি একে একটি শিক্ষা. জ্ঞান-বিজ্ঞান. গবেষণা ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে। জাদুঘরটি বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটির জ্ঞানচর্চা ও গবেষণার অন্যতম কেন্দ্র। সর্বোপরি সাধারণ ঐতিহ্যপিয়াসী নাগরিক. দর্শক. ঢাকাপ্রেমিক. গবেষক ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে অতীত ঐতিহ্য তুলে ধরা এই জাদুঘরের অন্যতম মূল উদ্দেশ্য। জানা গেছে. ঢাকার মোগল নায়েব-নাজিমদের জন্য ২৫০ বছর পূর্বে নির্মিত প্রাসাদ ভবনের মূল অংশ সংরক্ষণের অভাবে ইতিমধ্যে ধ্বংস হয়ে গেছে। একটি অংশ বর্তমানে আছে। সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় রাজধানী ঢাকার ৪০০ বছর পূর্তি উদ্‌যাপন কর্মসূচির আওতায় ২০০৯ থেকে ২০১১ সালে সংরক্ষণ করা হয়। কিন্তু নিয়মিত ব্যবহার না করায় আবার তা কার্যকারিতা হারাচ্ছিল এবং স্থায়ীভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছিল। এই ভবন ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য ভবনটিতে জাদুঘর স্থাপন করা হয়েছে। নতুন তৈরি জাদুঘরে ১৭০০-১৯০০ সাল পর্যন্ত ঢাকা এবং পূর্ব বাংলার সমাজ. সংস্কৃতি ও জীবনভিত্তিক নিদর্শন সাজানো হয়েছে। এসব নিদর্শন ঢাকার বহু বনেদি ও সংস্কৃতিমান পরিবার থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। জাদুঘর পরিদর্শনের জন্য দর্শকদের প্রবেশমূল্য ২০ টাকা এবং ছাত্রছাত্রীদের জন্য ১০ টাকা। বিদেশি দর্শকদের জন্য ২০০ টাকা। ইতিহাসের পাতায় আর লোকমুখে এখনো আছে নিমতলী প্রাসাদ। তবে বাস্তবে এর কোনো অস্তিত্ব নেই। কেবল ভবনের প্রধান প্রবেশদ্বারটি টিকে আছে. যার নাম ‘নিমতলীর দেউড়ি’। এটিই এখন এশিয়াটিক সোসাইটির ঐতিহ্য জাদুঘর।
1,572,915
2019-01-02
সাড়ে ৬ হাজার মুক্তিযোদ্ধার ভাতা লোপাট
null
রোজিনা ইসলাম. ঢাকা
১২
https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1572914/%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A7%9C%E0%A7%87-%E0%A7%AC-%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A7%8B%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A6%BE-%E0%A6%B2%E0%A7%8B%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%9F
bangladesh
print
1
অপরাধ|মুক্তিযোদ্ধা|জালিয়াতি|বরিশাল
বরিশালে ৬ হাজার ৪৫৬ জন মুক্তিযোদ্ধার সম্মানী ভাতার প্রায় চার কোটি টাকা লোপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় বলছে. মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা বাবদ এই টাকা মন্ত্রণালয় থেকে ছাড় করেছে তারা। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধারা বলছেন. তাঁদের হাতে এই টাকা আসেনি। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে. গরমিলটা শুরু হয়েছে বরিশালের জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে। কিন্তু জেলা প্রশাসন বলছে. ২০১৪-১৫ অর্থবছরে মন্ত্রণালয় থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী ভাতা বাবদ প্রায় চার কোটি টাকা কম দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে বরিশালে চারজন জেলা প্রশাসক বদলি হয়েছেন। কিন্তু আজও এ সমস্যার সমাধান হয়নি। ভাতাও বুঝে পাননি মুক্তিযোদ্ধারা। মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম অভিযোগ করেন. ‘আমার মনে হয়. পুরো টাকাটা লোপাট হয়ে গেছে। বরিশাল জেলা প্রশাসনের তৎকালীন কর্মকর্তারা টাকাটা মেরে দিয়েছেন।’ পুরো বিষয়টি জানতে বরিশালে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধার সন্তান শেখ রিয়াদ মুহাম্মদ নূর গত দুই বছরে কয়েক দফা তথ্য অধিকার আইনে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন। কিন্তু মন্ত্রণালয় বরিশাল জেলা প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলে। সমাধান না পেয়ে শেখ রিয়াদ তথ্য কমিশনে অভিযোগ করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৮ আগস্ট ও ১০ অক্টোবর কমিশনে শুনানি হয়। কমিশন মন্ত্রণালয়কে সম্মানী ভাতা দিতে ব্যবস্থা নিতে বলে। গত ২৪ অক্টোবর মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়. তাদের তদন্তে বেরিয়ে এসেছে. মুক্তিযোদ্ধারা সম্মানী ভাতা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। তাঁরা ভাতা পাননি। মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেয়। জানতে চাইলে বরিশালের বর্তমান জেলা প্রশাসক এস এম অজিয়র রহমান প্রথম আলোকে বলেন. ‘আমি নতুন এসেছি। বিষয়টি জানা নেই। তবে যেহেতু মুক্তিযোদ্ধাদের বিষয়. আমি অবশ্যই খোঁজ নেব।’ বরিশালের সাবেক জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান বলেন. ‘পুরো বিষয়টি বিভ্রান্তিকর। আমি থাকাকালীন অনেক চেষ্টা করেছি বিষয়টি সমাধান করতে। আর্থিক বিষয় এমনিতেই স্পর্শকাতর। কিন্তু তাঁরা ভাতা পাননি. এটা ঠিক। ২০১৫ সালে জেলা প্রশাসক ছিলেন শহিদুল আলম। তিনি অন্যত্র বদলি হয়ে গেছেন অনেক আগেই। তাই তাঁর এখন দায় নেই।’ সম্মানী ভাতা পাননি. এমন কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা প্রথম আলোর কাছে অভিযোগ করেন. ২০১৪ সালের জুন থেকে ২০১৫ সালের মার্চ পর্যন্ত বরিশাল জেলার মোট ভাতাভোগী ছিলেন ৬ হাজার ২৩২ জন। ২০১৫ সালের এপ্রিলে আরও ২২৪ জন যুক্ত হয়ে মোট সংখ্যা দাঁড়ায় ৬ হাজার ৪৫৬। ওই সময় মুক্তিযোদ্ধারা প্রতি মাসে পাঁচ হাজার টাকা করে ভাতা পেতেন। ২০১৫ সালের জানুয়ারি থেকে মার্চের জন্য প্রত্যেক মুক্তিযোদ্ধার নামে ব্যাংক হিসাবে ১৫ হাজার টাকা করে জমা হওয়ার কথা। কিন্তু জমা হয় ১০ হাজার টাকা করে। আর এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত জমা হয় ১৫ হাজার টাকা করে। তাহলে তাঁদের এক মাসের (মার্চ) ভাতা কোথায় গেল. সেই প্রশ্নই তুলেছেন মুক্তিযোদ্ধারা। ধীরেন চন্দ্র বিশ্বাস. এনায়েতুর রহমান. আমীর আলী. আনোয়ার হোসেনসহ অন্তত ৫০ জন মুক্তিযোদ্ধা অভিযোগ করেন. গত তিন বছরে তাঁরা এ ভাতা পেতে অনেক দৌড়ঝাঁপ করেছেন। এখনো তাঁরা আশা ছাড়েননি। তাঁদের মতো অসহায় মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে পাঁচ হাজার অনেক টাকা। এই টাকায় এক মাস তাঁদের সংসার চলে যায়। তাঁদের প্রশ্ন. মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় যদি তাঁদের জন্য ভাতা বরাদ্দ দিয়ে থাকে. তাহলে টাকাটা গেল কোথায়? এ বিষয়ে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক প্রথম আলোকে বলেন. ‘আমার কাছে এমন অভিযোগ এসেছে। অভিযোগটি গুরুতর। মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বরাদ্দ টাকা কেন তাঁদের পরিশোধ করা হয়নি. তা আমি জেলা প্রশাসকের কাছে জানতে চেয়েছি। মন্ত্রণালয় এ টাকা বরাদ্দ দিলে অবশ্যই তাঁদের পাওয়ার কথা। কোথায় গলদ হয়েছে. আমরা খতিয়ে দেখছি।’
1,572,914
2019-01-02
প্রথমবার সাংসদ ৬ ব্যাংক পরিচালক
null
সানাউল্লাহ সাকিব. ঢাকা
https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1572913/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A5%E0%A6%AE%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%B8%E0%A6%A6-%E0%A7%AC-%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%95-%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%95
bangladesh
print
1
নির্বাচন|রাজনীতি|ব্যাংক|একাদশ সংসদ নির্বাচন|বিএনপি|আওয়ামী লীগ
নতুন-পুরোনো মিলিয়ে ১৭ জন ব্যাংক পরিচালক এবার আইনপ্রণেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। নতুন-পুরোনো মিলিয়ে ১৭ জন ব্যাংক পরিচালক এবার আইনপ্রণেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এবার ৬ জন ব্যাংক পরিচালক প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য হয়েছেন। এর মধ্যে ৫ জন আওয়ামী লীগ থেকে এবং ১ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। এর বাইরে ব্যাংকের আরও ১১ পরিচালক এবার সংসদ সদস্য হয়েছেন. যাঁরা এর আগেও সাংসদ ছিলেন। সেই হিসাবে নতুন-পুরোনো মিলিয়ে ১৭ জন ব্যাংক পরিচালক এবার আইনপ্রণেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। সাংসদ নির্বাচিত হওয়া ১৭ জন ব্যাংক পরিচালকের মধ্যে ১৫ জন বেসরকারি ব্যাংকের আর ২ জন রাষ্ট্রমালিকানাধীন ব্যাংকের পরিচালক। এর মধ্যে প্রথমবারের মতো সাংসদ হয়ে ব্যাংক খাতে আলোচনায় এসেছেন সালমান এফ রহমান। তিনি আইএফআইসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ সভাপতির বেসরকারি খাতবিষয়ক উপদেষ্টা। এ ছাড়া সাবেক সচিব ও রূপালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান মনজুর হোসেনও এবার প্রথমবারের মতো সাংসদ হয়েছেন। এ তালিকায় আরও আছেন নিটল নিলয় গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান ও জনতা ব্যাংকের পরিচালক সেলিমা আহমাদ. ন্যাশনাল ব্যাংকের পরিচালক এনামুল হক শামীম. শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংকের পরিচালক আনোয়ার হোসেন খান ও এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকের পরিচালক মোহাম্মদ শহীদ ইসলাম। তাঁদের মধ্যে শহীদ ইসলাম স্বতন্ত্র প্রার্থী হলেও তাঁকে পূর্ণ সমর্থন দেয় মহাজোট। এ ছাড়া অন্যরা আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছিলেন। ব্যাংক পরিচালকদের সাংসদ হওয়াকে কীভাবে দেখছেন বিশ্লেষকেরা। তা জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ বলেন. ব্যাংক পরিচালক ও সাংসদ দুটো পদে দায়িত্ব পালন একই সঙ্গে সংগতিপূর্ণ হবে না। কারণ. আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন একজনকে দিয়ে হয় না। এ ছাড়া বেসরকারি ব্যাংক পরিচালকেরা ধনিক শ্রেণি হিসেবে ইতিমধ্যে প্রভাব খাটিয়ে বিভিন্ন সুবিধা নিয়েছেন। এখন সাংসদ হওয়ায় প্রভাব আরও বেড়ে যাবে। ইব্রাহিম খালেদ আরও বলেন. বেসরকারি ব্যাংকের পরিচালকের সঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর কোনো নীতিনির্ধারণী বিষয়ে আলোচনা করতে পারেন না। এখন ব্যাংক পরিচালকেরা সাংসদের পদ ব্যবহার করে গভর্নরকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করতে পারেন। কারণ. অতি ধনিক রাজনীতিবিদদের কাছ থেকে দায়িত্বশীল আচরণ আশা করা যায় না। ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনের বেসরকারি ফলাফলে দেখা যায়. পুরোনোদের মধ্যে এবারও সাংসদ হয়েছেন ইউনিয়ন ব্যাংকের পরিচালক ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ. মেঘনা ব্যাংকের চেয়ারম্যান এইচ এন আশিকুর রহমান. যমুনা ব্যাংকের পরিচালক গোলাম দস্তগীর গাজী ও তাজুল ইসলাম. এক্সিম ব্যাংকের পরিচালক আবদুল মান্নান. প্রিমিয়ার ব্যাংকের পরিচালক আব্দুস সালাম মুর্শেদী ও বি এইচ হারুন. মধুমতি ব্যাংকের পরিচালক শেখ ফজলে নূর তাপস ও দিদারুল আলম. মার্কেন্টাইল ব্যাংকের পরিচালক মোর্শেদ আলম। জানা গেছে. বিএনপি থেকেও বেশ কয়েকজন ব্যাংক পরিচালককে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল। তবে তাঁদের কেউ জিততে পারেননি। আবার দুই দল থেকে অনেক ব্যাংক পরিচালক মনোনয়ন চেয়েও পাননি। গত কয়েক বছরে নানা কারণে আলোচনায় ব্যাংক খাত। এর মধ্যে এক ফারমার্স ব্যাংক গ্রাহকের টাকা ফেরত দিতে না পারায় বেশির ভাগ ব্যাংকের আমানতে টান পড়ে। তাতে সংকট আরও ঘনীভূত হয়। এর মধ্যেই ঋণের সুদহার এক অঙ্কে নামিয়ে আনার নির্দেশনা আসে সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে। ব্যাংক পরিচালকেরা এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছ থেকে নানাবিধ সুবিধা আদায় করে নেন। আর আমানতকারীদের স্বার্থকে প্রাধান্য না দিয়ে সরকার. ব্যাংকের পরিচালক ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক হাতে হাত মেলায়। জনতা ব্যাংকে অ্যাননটেক্স ও ক্রিসেন্ট গ্রুপের ১০ হাজার কোটি টাকার বেশি ঋণ জালিয়াতি আলোচনায় নতুন মাত্রা দেয়। ফলে গত বছরের ৯ মাসেই (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর) দেশের ব্যাংকগুলোতে খেলাপি ঋণ বেড়ে হয় প্রায় ২৭ হাজার কোটি টাকা। জানতে চাইলে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকস (বিএবি) ও এক্সিম ব্যাংকের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার বলেন. ব্যাংকের এত পরিচালক সাংসদ নির্বাচিত হওয়ায় তা এ খাতের জন্য ভালো। এখন এ খাতে যেসব সমস্যা ও অনিয়ম ধরা পড়েছে. তা সমাধান করতে এসব সাংসদ ভালো ভূমিকা রাখতে পারবেন।
1,572,913
2019-01-02
শ্রীলঙ্কায় মাদক চোরাচালানে নাম এল তিন বাংলাদেশির
null
রাহীদ এজাজ. ঢাকা
https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1572911/%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A6%B2%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A6%95-%E0%A6%9A%E0%A7%8B%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%87-%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%AE-%E0%A6%8F%E0%A6%B2-%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%A8-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%B0
bangladesh
print
1
অপরাধ|মাদক|শ্রীলঙ্কা|বাংলাদেশ
• কলম্বোয় গত ডিসেম্বরে দুটি পৃথক অভিযান • ৩০৪ কেজি হেরোইন ও ৫ কেজি কোকেন জব্দ • ৩ বাংলাদেশি গ্রেপ্তার. তাঁদের একজন নারী • কলম্বোয় গত ডিসেম্বরে দুটি পৃথক অভিযান • ৩০৪ কেজি হেরোইন ও ৫ কেজি কোকেন জব্দ • ৩ বাংলাদেশি গ্রেপ্তার. তাঁদের একজন নারী শ্রীলঙ্কার সাম্প্রতিক ইতিহাসে মাদকের সবচেয়ে বড় চালানসহ ধরা পড়েছেন দুই বাংলাদেশি। তাঁদের কাছ থেকে জব্দ করা হয়েছে ২৭২ কেজি হেরোইন ও ৫ কেজি কোকেন। গত ৩১ ডিসেম্বর শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোর উপকণ্ঠ মাউন্ট লাভিয়ানা এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করে দেশটির আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। জব্দ করা মাদকের দাম প্রায় ১৫২ কোটি টাকা। ধরা পড়া দুই বাংলাদেশি হলেন বগুড়ার মোহাম্মদ জামালউদ্দিন ও জয়পুরহাটের দেওয়ান রফিউল ইসলাম। গত বছর বড়দিন (২৫ ডিসেম্বর) সামনে রেখে শ্রীলঙ্কার পুলিশের মাদক বিভাগ ও স্পেশাল টাস্কফোর্স ওই বিশেষ অভিযান চালায়। এর আগে ১৪ ডিসেম্বর কলম্বোর উপকণ্ঠের একই এলাকা থেকে ৩২ কেজি হেরোইনসহ গ্রেপ্তার করা হয় বাংলাদেশি এক নারীকে. নাম সূর্যমণি। তিনি গত বছরের অক্টোবরের শুরুতে মালয়েশিয়া থেকে কলম্বো পৌঁছান বলে কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে। ২০১৩ সালে একটি বিশেষ অভিযানে শ্রীলঙ্কায় একসঙ্গে আটক হয়েছিল ২৬১ কেজি মাদক। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র এই তথ্য দিয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে. মাত্র এক মাসের মধ্যে ৩০৪ কেজি হেরোইন. ৫ কেজি কোকেনসহ তিন বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তারের ঘটনা শ্রীলঙ্কায় তোলপাড় সৃষ্টি করেছে। এ ধরনের কর্মকাণ্ড বাংলাদেশের নাগরিকদের ভিসার ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে বলেও শ্রীলঙ্কার কর্তৃপক্ষ আভাস দিয়েছে। বিপুল পরিমাণ মাদক চোরাচালানের বিষয়ে বিশেষায়িত তথ্য বিনিময় ও তদন্তে সহযোগিতার জন্য শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্টের দপ্তর. দেশটির পুলিশের মহাপরিদর্শক ও পুলিশের স্পেশাল টাস্কফোর্সের প্রধান কলম্বোয় বাংলাদেশের হাইকমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। জানতে চাইলে শ্রীলঙ্কায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার এম রিয়াজ হামিদুল্লাহ মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন. মাদক চোরাচালানের তদন্তের বিষয়ে দেশটির সরকার বাংলাদেশের সহযোগিতা চেয়েছে। বাংলাদেশ সব সময় সন্ত্রাসবাদ ও মাদকের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্সের’ (শূন্য সহিষ্ণুতা) নীতি অনুসরণ করে আসছে। মাদক চোরাচালানের তদন্তে শ্রীলঙ্কাকে সম্ভাব্য সব ধরনের সহযোগিতা করবে বাংলাদেশ। হাইকমিশনার জানান. মাদক চোরাচালানের বিষয়ে কীভাবে দুই পক্ষ একে অন্যকে সহযোগিতা করতে পারে. তা নিয়ে ৩ জানুয়ারি বাংলাদেশ হাইকমিশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে শ্রীলঙ্কার কর্তৃপক্ষের একটি বৈঠকের কথা রয়েছে। এদিকে শ্রীলঙ্কা পুলিশের মুখপাত্র রুয়ান গুনাসেকারাকে উদ্ধৃত করে গতকাল দেশটির প্রথম সারির গণমাধ্যম ডেইলি মিরর জানিয়েছে. মাউন্ট লাভিয়ানার টেম্পলার্স রোডের একটি আবাসিক এলাকা থেকে প্রথমে ৯ কেজি হেরোইনসহ দুই বাংলাদেশি জামাল ও রফিউলকে আটক করা হয়। কেকের বাক্সে বিশেষ কায়দায় রাখা ওই হেরোইন জব্দের সময় দুই বাংলাদেশির একজনের কাছে স্বয়ংক্রিয় চাবি (ফ্ল্যাটের দরজা খোলার জন্য) পাওয়া যায়। জিজ্ঞাসাবাদের পর দুজনকে নিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা স্থানীয় একটি দোতলা বাড়িতে যান। বাড়িতে ঢুকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের চোখ আটকে যায়। তাঁরা দেখতে পান. ঘরজুড়ে রয়েছে হেরোইন–ভর্তি প্যাকেট। পরে সেখান থেকে ২৬৩ কেজি হেরোইন. ৫ কেজি কোকেনসহ সব মিলিয়ে ২৬৮ কেজি মাদক উদ্ধার করা হয়। শ্রীলঙ্কার মুদ্রায় উদ্ধারকৃত মাদকের দাম ৩৩৩ কোটি রুপি. যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৫২ কোটি টাকা। শ্রীলঙ্কার পুলিশ ও বিশেষ টাস্কফোর্সের সদস্যদের ধারণা. মাদক হাতবদলের জন্য ওই বাড়িকে নিরাপদে ব্যবহার করে আসছিল পাচারকারীরা। কলম্বোর বাড়িটি থেকে সারা দেশে মাদকের চালান পৌঁছে দেওয়া হতো।
1,572,911
2019-01-02
আনন্দে ঢেকে যাক কষ্ট
null
সুমনা শারমীন
https://www.prothomalo.com/life-style/article/1572909/%E0%A6%86%E0%A6%A8%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%87-%E0%A6%A2%E0%A7%87%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%95-%E0%A6%95%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F
life-style
print
1
অধুনা|জেনে নিন
জীবনে দুঃখ–কষ্ট. বেদনা–ব্যর্থতা আসবেই। পাশাপাশি আসবে আনন্দ–সুখ–সফলতা। মানুষের জীবনে আনন্দ–বেদনার এই কাব্যে আনন্দ থাকুক এগিয়ে। কষ্টকে দিক হারিয়ে। সফলতা ঢেকে দিক ব্যর্থতাকে। নতুন বছরে এই তো চাওয়া। লিখেছেন সুমনা শারমীন মেয়েটির মনে অনেক কষ্ট। হারিয়েছে তার প্রথম সন্তান। নাড়িছেঁড়া ধন। ভেবেই পায় না কী নিয়ে বাঁচবে সে? বন্ধুবান্ধব. আত্মীয়স্বজনের অনুরোধে অবশেষে মাস দেড়েক পর ঘরের বাইরে বের হলো সে। সবাই বোঝাল. যাও. মুক্ত বাতাসে নিশ্বাস নিয়ে এসো। কয়েক বছর আগের কথা। দিনটি ছিল ৩১ ডিসেম্বর। কাল থেকে নতুন বছর। মেয়েটি চোখেমুখে পানির ঝাপটা দিল. মনকে শক্ত করার চেষ্টা করল। কিন্তু বেসিনের আয়না ঝাপসা হয়ে যায় বারবার। আবার পানির ঝাপটা। বহুদিন পর চুল বাঁধল. বাইরে যাওয়ার শাড়ি পরল নাকি শাড়ি প্যাঁচাল! ঢাকার ধানমন্ডির সড়ক দিয়ে রিকশায় যাচ্ছে...। হঠাৎ পাশের রিকশায় দেখল এক জোড়া তরুণ–তরুণী উচ্ছল হাসিতে লুটিয়ে পড়ছে। থমকে গেল মেয়েটা। মনে হলো. ঘরের বাইরে এসে ভুল হলো। বাইরেটা বড় স্বার্থপর! আমার মনে এত কষ্ট. আর দেখো ওরা কেমন নির্লজ্জের মতো হাসছে! কী নিষ্ঠুর! হায় রে অবুঝ. ওই অপরিচিত তরুণ–তরুণী কী করে জানবে তোমার কষ্টের কথা? আর ঘর থেকে বের না হলে কী করে জানতে পৃথিবীতে একই সময়ে সব মানুষ দুখী নয়! সুখ–দুঃখ সমুদ্রের ঢেউয়ের মতো. আসে আবার মিলিয়েও যায়। নিজেকে এই কথাটা বোঝাতে সময় লেগেছিল মেয়েটার। আবার মা হয়েছিল মেয়েটি. আশঙ্কা আর আতঙ্কে মাসখানেক ছবি তোলা হয়নি নবজাতকের। ছোট্ট মানুষটি ঘুমিয়ে থাকলে নাকের কাছে বারবার আঙুল নিয়ে দেখত। সব ঠিক আছে তো? অতঃপর সময় বহিয়া গেল. ছোট্ট মানুষটা প্রথম হাসল নাকি হাসাল পরিবারকে! প্রথম মায়ের তর্জনী মুঠো করল. সিলিং পাখার ঘূর্ণি দেখল চোখ ঘুরিয়ে. উপুড় হলো. ঘাড় উঁচু করল...সবটাতেই বিস্ময়. আনন্দ বাবা–মায়ের। একের পর এক ছবি তোলা. বর্ণনা লিখে রাখা। আমাদের কার জীবনে ভালো–মন্দ নেই? উত্থান–পতন নেই? সফলতা-ব্যর্থতা নেই? তবু জীবন কি থেমে থাকে? একেক সময় মনে হয়. আর তো বইতে পারি না। তবু বড় কোনো বিপদ এলে সবকিছু জেনেও একটা ‘মিরাকেল’–এর অপেক্ষায় থাকি। ধ্বংসস্তূপের মধ্য থেকে ফিনিক্স পাখির উড়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখি। আর যখন রাত পোহালে ভোর হয়. তখন বুঝতে পারি. সময়ই একমাত্র শক্তি। সময়ই পারে দুঃখকে ঢেকে দিয়ে আনন্দে ভাসাতে। রবীন্দ্রনাথ নাকি বাঙালির মনের আনন্দ-বেদনা. উত্থান-পতনের সব অনুভূতির কথাই লিখে রেখে গেছেন। ঠিক তা–ই। আছে দুঃখ. আছে মৃত্যু. বিরহদহন লাগে। তবুও শান্তি. তবু আনন্দ. তবু অনন্ত জাগে।। তবু প্রাণ নিত্যধারা. হাসে সূর্য চন্দ্র তারা. বসন্ত নিকুঞ্জে আসে বিচিত্র রাগে।। তরঙ্গ মিলায়ে যায় তরঙ্গ উঠে. কুসুম ঝরিয়া পড়ে কুসুম ফুটে। নাহি ক্ষয়. নাহি শেষ. নাহি নাহি দৈন্যলেশ— সেই পূর্ণতার পায়ে মন স্থান মাগে।। ক্রিকেট–বোদ্ধা বন্ধু একবার আমার লাগাতার বিপদের সময় বলেছিল. উইকেট বাঁচিয়ে ক্রিজে টিকে থাকাটাই এখন বড় ব্যাপার। শতরানের আশা এখনই কোরো না। ভুল শট খেলে আউট হয়ে যেতে পারো। বরং ছোট ছোট শট খেলে মধ্যাহ্নভোজের আগে অর্ধশত রান করো। দেখবে. দিন শেষে শতরান হয়ে যাবে! আমি অবাক হয়ে তাকিয়ে দেখি. জীবনের সঙ্গে ক্রিকেটের এত মিল! তাই তো এক রানের আনন্দও তো অনেক সময় শতরানের মতো। আমরা অনেক সময় তা ভুলেই যাই। আবার এক রান না পেলে অহেতুক মুষড়ে পড়ি। জীবনে বড় বিপদ এসেই আমাদের মনে করিয়ে দেয়. কত অল্পে আমরা অহেতুক মন খারাপ করি। আনন্দ উদ্‌যাপন করাটাও যে জীবনের অংশ. বড় ঝড় থেকে না ফিরলে মনেই থাকে না। কেউ হয়তো ভর্তি হতে চেয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগে. হলো না। মন তো ভাঙবেই। কিন্তু হাল ছেড়ে দেওয়ারও তো কিছু নেই। মনোবিদেরা বলেন. জীবনে বিকল্প পথও ধরতে হয়। একটা হলো না তো আরেকটা হবে. হয়তো তাতেই হবে বাজিমাত। শিক্ষার্থীরা তো বটেই. অভিভাবকেরাও অনেক সময় ভুলে যান লেখাপড়াটাই আসল কথা। অমুক স্কুলে ভর্তি না হতে পারলে তাঁর সন্তানের ভবিষ্যৎ অন্ধকার হবে. এটা ভাবার কোনো কারণ নেই। প্রথম আলোর দেশজুড়ে থাকা প্রতিনিধি আর ট্রাস্টের কল্যাণে জানতে পারি. কত নাম না জানা বিদ্যালয় থেকে কত অভাবের সঙ্গে লড়াই করে ঈর্ষাজাগানিয়া ফলাফল করছে অদম্য মেধাবীরা। জীবন তো খেলাই। একবার আউট হলেইবা কী? আরেকবার ছক্কা হবেই। হোক বা না হোক. ছক্কার স্বপ্ন তো দেখতে হবে। যে ‘শচীন শচীন’ নির্ভরতার ধ্বনিতে স্টেডিয়াম মুখরিত থাকত. সেই শচীন টেন্ডুলকার কি হাঁস (ডাক) মারেননি? তাই বলে কি থেমেছে তাঁর অর্জন? প্রথম আলোর কিশোরদের ম্যাগাজিন কিশোর আলোর জন্মদিনে এসে তাই বিশ্বখ্যাত অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান স্বপ্ন দেখালেন বিশ্বকাপ জয়ের। বললেন. ‘স্বপ্ন তো তা–ই. যা অন্যে বিশ্বাস করে না। কিন্তু আমি বিশ্বাস করি।’ আরেকটা নতুন বছর এল। নতুনের শক্তি অনেক। এটা শুধু দেয়াল পঞ্জিকা বা মোবাইলের ক্যালেন্ডারের নতুন মাস নয়। নিজেকে জয় করার প্রত্যয়ও বটে। আর কোথাও কিছু না থাক. বুকের ভেতরে প্রত্যয় থাকলেই যথেষ্ট। তবেই গাইতে পারেন. ‘আমরা করব জয় একদিন।’ মনে পড়ে স্কুলজীবনের কথা। অগ্রণী স্কুলের গানের শিক্ষক মামুন স্যার শিখিয়েছিলেন রবীন্দ্রসংগীতটি— ওরে. নূতন যুগের ভোরে দিস নে সময় কাটিয়ে বৃথা সময় বিচার করে।। কী রবে আর কী রবে না. কী হবে আর কী হবে না ওরে হিসাবি. এ সংশয়ের মাঝে কি তোর ভাবনা মিশাবি?।... কর্মক্ষেত্রই বলুন. পরিবার বলুন. কিংবা বন্ধুত্ব—আনন্দ–বেদনার নকশিকাঁথার ফোঁড়েই জীবন হয় পূর্ণ। তবে দিনশেষে আনন্দের পাল্লা যেন হারিয়ে দেয় কষ্টকে। ব্যর্থতা যেন সফলতার কাছে হয় পরাজিত। নয়তো জীবন জিতবে কী করে বলুন? নতুন বছরে এই তো চাওয়া।
1,572,909
2019-01-02
হাত দেখে স্বাস্থ্য গণনা
জেনে নিন
null
null
https://www.prothomalo.com/life-style/article/1572907/%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%A4-%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%96%E0%A7%87-%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A7%8D%E0%A6%AF-%E0%A6%97%E0%A6%A3%E0%A6%A8%E0%A6%BE
life-style
print
1
অধুনা|পরামর্শ|জেনে নিন
হাত দেখে ভাগ্য গণনা করেন জ্যোতিষীরা। সেটা কতটুকু বিশ্বাসযোগ্য. তা নিয়ে তর্ক করা যেতে পারে। তবে হাতের অবস্থা দেখে স্বাস্থ্য গণনার বিষয়টি বিজ্ঞানসম্মত। আপনার হাতের অস্বস্তির লক্ষণ দেখে নিজেই অনুমান করতে পারবেন স্বাস্থ্যের অবস্থা। সমাধানও আছে। তবে সব সমস্যা ও সমাধানের ব্যাপারে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে ক্লান্তি ও অবসাদ কীভাবে বুঝবেন: ভারী কিছু তুললে হাতের চামড়া–সংলগ্ন স্নায়ুতে চাপ পড়ে। এমনটা হয় হাতের কবজি বেকায়দায় থাকলেও। আর এর ফলে হাতের আঙুলগুলোতে অস্বস্তিকর অনুভূতি হয়। যা করতে হবে: পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমান ও বিশ্রাম নিন। ম্যাসাজ নিলেও উপকার হবে। রক্তসঞ্চালনে সমস্যা কীভাবে বুঝবেন: ডান হাতের আঙুলের ডগা অসাড় লাগতে পারে বেশ কিছু কারণে। তার মধ্যে আঙুলের চামড়া–সংলগ্ন স্নায়ুতে চাপ. হাত কিংবা কাঁধের সন্ধিস্থলের আঘাত অন্যতম। কার্ডিওভাসকুলার অসুখের কারণে রক্ত ঠিকমতো চলাচল করতে পারে না। ফলে ডান হাতের আঙুলে অস্বস্তি হতে পারে। যা করতে হবে: নিয়মিত শরীরচর্চা করুন। হাঁটুন. দৌড়ান. ব্যায়াম করুন। এর ফলে শরীরের সব জায়গায় রক্তসঞ্চালন ত্বরান্বিত হবে। তবে সবার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন। ভিটামিনের অভাব কীভাবে বুঝবেন: কিছু ভিটামিনের (যেমন ‘ই’. ‘বি১ ’. ‘বি৬’ এবং ‘বি ১২ ’) অভাবে বাঁ হাত অথবা বাঁ পায়ের আঙুলে অস্বস্তিকর অনুভূতি হয়। যা করতে হবে: ভিটামিনের অভাব পূরণ করুন। ভিটামিন নেওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলতে হবে। অতিরিক্ত ভিটামিন শরীরে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। মেরুদণ্ডের সমস্যা কীভাবে বুঝবেন: মেরুদণ্ডের অনেক সমস্যার কারণে বাঁ হাতের অনামিকা ও কনিষ্ঠায় অস্বস্তি হতে পারে। মেরুদণ্ডের সমস্যার কারণে আঙুলের স্নায়ুতেও চাপ পড়ে আর এর ফলেই আঙুলে অস্বস্তি হয়। যা করতে হবে: সুযোগ পেলেই আড়মোড়া ভাঙুন। মেরুদণ্ড একটু বাঁকা করুন। যোগব্যায়াম ও শরীরচর্চা করতে পারেন। সাঁতারেও উপকার হয়। দীর্ঘক্ষণ একটানা বসে থাকা যাবে না। ডায়াবেটিস কীভাবে বুঝবেন: পা থেকে শুরু করে একটা অস্বস্তিকর অনুভূতি হাতের তালু ও আঙুল পর্যন্ত পৌঁছে যায়। শরীরের নির্দিষ্ট কিছু স্থানে রক্তসঞ্চালনের মাত্রা কমে গেলে এমনটা হয়। আর রক্তসঞ্চালনের মাত্রা হ্রাস পায় স্নায়ুর শীর্ষ ভাগগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হলে। যা করতে হবে: টাইপ ওয়ান ডায়াবেটিসের বেলায় চিকিৎসকেরা ইনসুলিনের পরামর্শ দেন। টাইপ টু ডায়াবেটিসের বেলায় অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাসই মূল কারণ। তাই চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করলে সমাধান মিলে যায়। কারপাল টানেল সিনড্রোম কীভাবে বুঝবেন: এ সমস্যার কারণে হাতের বুড়ো আঙুল. তর্জনী কিংবা মধ্যমা অসাড় লাগতে পারে। ঝিমঝিমও করতে পারে। কর্মক্ষেত্রে বা দৈনন্দিন জীবনে আমাদের হাত অনেক সময় ক্রমাগতভাবে চলতে থাকে। এর ফলেই এমনটা হয়। যা করতে হবে: নিয়ম করে সাধারণ কিছু ব্যায়াম করতে পারেন। কাজের ফাঁকেই কবজি দুটি একটু ঘুরিয়ে. টানটান করে ব্যায়ামগুলো করা যায়। গ্রন্থনা: মাহফুজ রহমানসূত্র: ব্রাইটসাইড
1,572,907
2019-01-02
ক্যাটরিনা কাইফ নন. শ্রদ্ধা কাপুর
null
বিনোদন ডেস্ক
null
https://www.prothomalo.com/entertainment/article/1572903/%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%9F%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A6%BE-%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%AB-%E0%A6%A8%E0%A6%A8-%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A6%BE-%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%B0
entertainment
print
1
বলিউড
নাচ নিয়ে সিনেমা এবিসিডি ৩-এ থাকছেন না ক্যাটরিনা কাইফ। সালমান খান অভিনীত ভারত ছবির শুটিংয়ের জন্য কাজ করতে পারছেন না এই ছবিতে। সেখানে দেখা যেতে পারে ফের শ্রদ্ধা কাপুরকেই। এর মধ্য দিয়ে আবার একসঙ্গে দেখা যেতে পারে এবিসিডি ২–এর জুটিকে। কারণ বরুণ ধাওয়ান কাজ করছেন. এটি নিশ্চিত। কোরিওগ্রাফার ও পরিচালক রেমো ডি সুজা পরিচালিত ‘এবিসিডি: এনিবডি ক্যান ড্যান্স’ খুবই জনপ্রিয় একটি ফ্র্যাঞ্চাইজি। ইতিমধ্যে ছবিটির দুই কিস্তি নির্মিত হয়েছে। দুটোই দর্শকেরা বেশ পছন্দ করেছেন। ছবির একটি অন্যতম চরিত্রে থাকেন আরেক জনপ্রিয় কোরিওগ্রাফার ও পরিচালক প্রভু দেবা। প্রথমে শোনা গিয়েছিল. একটি নতুন জুটি নিয়ে তৈরি করা হবে এই সিনেমা। সেখানে ভাবা হয়েছিল ক্যাটরিনা কাইফ ও টাইগার শ্রফকে। এবার খবর এল টাইগার ও ক্যাট কেউই থাকছেন না। ছবিতে দেখা যেতে পারে সেই পুরোনো জুটি বরুণ ধাওয়ান ও শ্রদ্ধা কাপুরকেই। কারণ পরিচালক রেমো আগেই ঘোষণা দিয়েছিলেন. টাইগার থাকছেন না ছবিতে। এবার জানা গেল. এই ছবিতে ক্যাটরিনাও থাকছেন না। সালমান খান অভিনীত ভারত ছবির কাজ চলছে জোর কদমে। সেখানে কাজ করছেন ক্যাটরিনা কাইফ। এই সিনেমার বাইরে কাজ করার একদমই ফুরসত নেই তাঁর। এমনিতেই থাগস অব হিন্দোস্থান ও জিরো ছবি দুটি দিয়ে বেশ খারাপ অবস্থায় আছেন ক্যাট। ছবি দুটি বক্স অফিসে ভালো করেনি। তাই ভারত ছবিতে একনিষ্ঠভাবেই কাজ করছেন তিনি। এদিকে পরিচালক রেমো ডি সুজার ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানিয়েছে. ক্যাটরিনার অপারগতার জন্য সেখানে ভাবা হচ্ছে শ্রদ্ধা কাপুরকেই। তবে এটি এখনো নিশ্চিত নয়। এই তালিকায় আছেন জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজ ও কৃতি শ্যাননও। তবে শ্রদ্ধা যে তালিকায় এক নম্বরে. এটি নিশ্চিত করেছে ছবির ঘনিষ্ঠ সূত্রটি। ২২ জানুয়ারি অমৃতসরে ছবির প্রথম দিকের শুটিং শুরু হবে। এরপর লন্ডনে হবে ফেব্রুয়ারি মাসের শুটিং। আর জুলাই মাসের দিকে শুটিং থাকছে মুম্বাইতে। ছবির পরিচালক জানিয়েছেন. নভেম্বরের দিকে ছবিটি মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনা আছে। ডিএনএ
1,572,903
2019-01-02
সুস্থ সম্পর্কের সাতকাহন
মনোজগৎ
মেখলা সরকার
null
https://www.prothomalo.com/life-style/article/1572901/%E0%A6%B8%E0%A7%81%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A5-%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A6%A8
life-style
print
1
সম্পর্ক|অধুনা
সম্পর্ক মূলত দুজন ব্যক্তিকে আবেগ. ভালোবাসার মাধ্যমে মানসিকভাবে যুক্ত করে। সম্পর্কের ভালোবাসা আমাদের যোগ্যতা সম্পর্কে আত্মবিশ্বাসী করে। অন্যের কাছে প্রাধান্য. যেকোনো প্রয়োজনে পাশে পাওয়ার নিশ্চয়তা. সঙ্গীর জীবনে নিজের গুরুত্ব আমাদের শুধু আনন্দিতই করে. তা–ই নয়; আমাদের মনে এক গভীর নিরাপত্তাবোধ দেয়. উদ্বেগ কমায়. জীবনের ছোট-বড় নানা সমস্যা মোকাবিলা করা সহজ করে। ইতিবাচক দাম্পত্যে ব্যক্তিকে উজ্জীবিত ও জীবনমুখী করে. কর্মস্পৃহা বাড়ায়। পজিটিভ সাইকোলজির প্রবক্তা মার্টিন সেলিগম্যান ব্যক্তির ভালো থাকা বা সুখের যে পাঁচটি স্তম্ভের কথা বলেছেন. তার মধ্যে ‘সম্পর্ক’ অন্যতম। গুণগত জীবন যাপনের জন্য এই পাঁচটি স্তম্ভ গুরুত্বপূর্ণ হলেও অন্য গবেষণায়ও দেখা গিয়েছে. ‘ইতিবাচক সম্পর্ক’ সুখের অন্যতম প্রধান নির্ধারক। সুস্থ সম্পর্ক বুঝতে... সুস্থ সম্পর্ক সেটাই যেখানে দুজন সঙ্গী *পারস্পরিক সম্পর্ক নিয়ে সন্তুষ্ট. পরিতৃপ্ত ও সুখীবোধ করে *পরস্পরের কাছে নিরাপদ এবং আরামদায়ক বোধ করবে *পরস্পরের প্রতি আচরণ সম্মানপূর্ণ হবে *নিজেদের সঙ্গে কাটানো সময় আনন্দপূর্ণ হবে *পরস্পরের জীবনের প্রতি আগ্রহ থাকবে (যেমন: বন্ধুবান্ধব. ভালো লাগার বিষয়. পরিবার. জীবন নিয়ে ভাবনা. স্কুল-কলেজ. কর্মক্ষেত্র ইত্যাদি) *পরস্পরের প্রতি আস্থা/বিশ্বাস থাকবে *পারস্পরিক ভালোবাসা. মমতা. শ্রদ্ধা. বিশ্বাস. গ্রহণযোগ্যতা ইত্যাদির ভিত্তিতে পরস্পরকে প্রতিনিয়ত বেড়ে উঠতে সাহায্য করে। কেন প্রয়োজন সম্পর্কের সুস্থতা? *ইতিবাচক সম্পর্ক যেমন সঙ্গীদের জীবনে ইতিবাচক কর্মশক্তি. সক্রিয়তা যোগ করে। তেমনি রোমান্টিক সম্পর্কের গুণগত উপাদানগুলোর অভাব ব্যক্তিকে করে তুলতে পারে চরম অসুখী. অনুৎপাদনশীল। *সম্পর্কের নেতিবাচকতা আমাদের নিজেদের প্রতি আত্মবিশ্বাস কমায় *হীনম্মন্যতা তৈরি হয় *নিরাপত্তাহীনতা. উদ্বেগ ও অস্থিরতা বাড়ায় *কর্মস্পৃহা কমায় এবং ক্ষেত্রবিশেষে জীবনবিমুখী করে তুলতে পারে। *গবেষণায় দেখা গিয়েছে. সম্পর্ক থাকা না–থাকার তুলনায় সম্পর্কের গুণগত মানের ওপর ব্যক্তির শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য. জীবন যাপনে সন্তুষ্টি. সঙ্গী ও সন্তানদের ভালো থাকা নির্ভরশীল (কামিং অ্যান্ড ডেভিস. ২০১১; ব্যারেট ২০১১)। গবেষণা বলছে. অসুখী দাম্পত্যের নেতিবাচক প্রভাব ব্যক্তির নিজের এবং তাঁর সন্তানদের ওপর সুদূরপ্রসারী। সম্পর্কের গুণগত মান বাড়াবেন কীভাবে? যেকোনো আবেগময় সম্পর্ক একধরনের বেড়ে ওঠা গাছের মতো. যা সুন্দরভাবে বেড়ে ওঠার জন্য প্রয়োজন প্রতিদিনের পরিচর্যা। অর্থাৎ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পারস্পরিক আবেগ. ভালোবাসা. আকর্ষণ. নির্ভরশীলতা এমনি এমনি বেড়ে উঠবে না। এর জন্য প্রয়োজন দুজনের আন্তরিক প্রচেষ্টা ও এর গুরুত্ব অনুধাবন! সময় দিন: প্রতিদিন ‘অল্প’ হলেও শুধু দুজনের জন্য কিছুটা সময় রাখুন। এ সময়ে পরস্পরের সঙ্গ উপভোগের চেষ্টা করুন. মজা করুন. পরস্পরের খোঁজখবর নিন. তার সারা দিনের কর্মব্যস্ততা ইত্যাদি নিয়ে পারলে কথা বলুন. গল্প করুন। অল্প সময়ের জন্য হলেও সঙ্গীর নিরবচ্ছিন্ন মনোযোগ এবং প্রাধান্য নিজেকে গুরুত্বপূর্ণ ভাবতে সাহায্য করে. আত্মবিশ্বাস বাড়ায়। সম্মান করুন: গুণগত সম্পর্কের অন্যতম নির্ধারক পারস্পরিক সম্মান। আচরণ. কথায়. অন্যের কাছে প্রকাশে সঙ্গীর আত্মসম্মানের দিক খেয়াল রাখুন। প্রশংসা করুন: প্রতিদিন ছোটখাটো নানা ভালো কাজে প্রশংসা করুন। অন্যের প্রশংসা বা স্বীকৃতি আমাদের উৎসাহিত করা ছাড়াও আমাদের ভালো দিকগুলোর প্রতি যে সঙ্গী মনোযোগী তা প্রমাণ করে। স্নেহ প্রকাশ করুন: প্রতিদিন নানাভাবে (স্পর্শের মাধ্যমে. মৌখিকভাবে) আপনার মমতা. স্নেহ সঙ্গীকে প্রকাশ করুন। প্রতিটা মানুষেই নানা ধরনের ‘নাজুকতা’ মধ্যে দিয়ে যায়। প্রিয়জনের স্নেহময় ‘আশ্রয়’ আমাদের নাজুকতা মোকাবিলা করতে সাহায্য করে। বেড়াতে যান: কর্মব্যস্ততা থাকলেও সপ্তাহে অন্তত একবেলা আপনার সঙ্গীর জন্য রাখুন। একসঙ্গে বাইরে বের হন. ঘুরুন. একসঙ্গে ভালো লাগার কিছু উপভোগ করুন। একান্তে কাটানো এ সময় সমস্যা নিয়ে কথা না বলে ইতিবাচক বিষয় নিয়ে কথা বলুন। ছোট ছোট এ ধরনের অভ্যাস সম্পর্কে বৈচিত্র্য আনতে সাহায্য করে. ক্লান্তি দূর করে। দ্বন্দ্ব মোকাবিলায় কৌশলী হোন: রোমান্টিক বা আবেগময় সম্পর্কে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ভালো কিছুর সঙ্গে নানা অপ্রাপ্তি. দ্বন্দ্ব. অপ্রত্যাশিত বিষয় যোগ হবে। অযথা প্রতিক্রিয়া না দেখিয়ে বা মনের মধ্যে না পুষে সরাসরি করে কথা বলুন। এমনভাবে বলবেন না. যাতে অপর পক্ষ চ্যালেঞ্জ বোধ করে বা নিজেকে ছোট মনে করে। প্রয়োজনে সঙ্গীর ব্যক্তিত্বে কিছু সীমাবদ্ধতা যা খুব একটা পরিবর্তন করতে পারবেন না. সেটা গ্রহণ করুন। সে ক্ষেত্রে তার ভালো বিষয়গুলো এবং সম্পর্কের শক্তিশালী দিকগুলো বেশি করে মাথায় রাখুন। খোলামেলা কথা বলুন: ভালোবাসা. সততা. স্বচ্ছতা. বিশ্বাস. দায়বদ্ধতার ভিত্তিতে দাঁড়ানো সম্পর্ক পরস্পরকে যে নির্ভরতা দেয় এবং যেভাবে নির্ভার করে সেটা দীর্ঘ জীবনের পথ চলার নানা জটিলতা অনেক সহজ করে দেয়। পরস্পরের সঙ্গে খোলামেলাভাবে কথা বলা. রসবোধ রাখা. নিজের মতামতের বাইরে অন্যের মতামত গ্রহণ করার মানসিকতা রাখুন। সম্পর্কে বন্ধুত্ব: দাম্পত্যে বন্ধুত্ব যোগ হলে এর স্থায়িত্ব বাড়ে। কাজেই পরিবার. শৈশব. অতীত. আগ্রহ ও কাজের বিষয়. জীবন সম্পর্কে ভাবনা. ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ইত্যাদি নানা কিছু শেয়ার করুনএবং তার বিষয়ে আগ্রহ দেখান। একান্ত সময়: নিজের ব্যক্তিগত জায়গা (পারসোনাল স্পেস) রাখুন। নিজের ভালো লাগার বিষয় চর্চা করুন. নিজস্ব বন্ধুবান্ধব রাখুন. আত্মনির্ভরশীল হন। সঙ্গীর প্রতি সম্পূর্ণ নির্ভরশীলতা থেকে বিরত থাকুন। সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হয় যেসব কারণে *ছোট করে কথা বলা. সমালোচনা করা *সবকিছুতে নিয়ন্ত্রণ করার প্রবণতা বা নিজের সুবিধায় ব্যবহার করা *ছোটখাটো চাহিদা. আগ্রহ উপেক্ষা *আত্মসম্মানে আঘাত লাগে এমন আচরণ *পরিবার নিয়ে হেয় করে কথা বলা। মেখলা সরকার. সহযোগী অধ্যাপক. জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট. ঢাকা
1,572,901
2019-01-02
সবাই মিলেই কাজ করি
সন্তান পালন
আহমেদ হেলাল
null
https://www.prothomalo.com/life-style/article/1572900/%E0%A6%B8%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%87-%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%87-%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%9C-%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A6%BF
life-style
print
1
সম্পর্ক|অধুনা|পেশা
১১ বছর বয়সের মেয়ে সুহাইরা। ছোটবেলা থেকে মা যদি সুহাইরাকে একটি ছোট্ট কাজও করতে বলতেন. তখনই ওর বাবা হা হা করে উঠতেন. ‘এত ছোট মেয়ে. ও আবার কী কাজ করবে।’ এভাবে কোনো কাজ না করার কারণে সুহাইরা এখন কোনো কাজই করতে চায় না বা করতে পারে না। যেকোনো দায়িত্বকেই ভয় পায়। এমনকি তার নিজের দৈনন্দিন কাজগুলো. যেমন: স্কুলের বই গোছানো থেকে শুরু করে নিজের জামাকাপড় খুঁজে পাওয়া—সবকিছুতেই সে বাবা-মায়ের ওপর নির্ভরশীল। ছোট ছোট বিষয়ে সে কার্যকরী সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। বাবা-মায়েরা সন্তানকে ভালোবাসেন। ভালোবেসে তাদের সব সময় আরামে রাখতে চান। কিন্তু এই আরামে রাখার প্রক্রিয়ায় সন্তানদের সামাজিক দক্ষতা গড়ে ওঠে না. অংশগ্রহণমূলক মনোভাব তৈরি হয় না. আর ছোট-বড় কোনো বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। এ জন্য ছোটবেলা থেকেই সন্তানদের তাদের বয়স উপযোগী দায়িত্ব ভাগ করে দিতে হবে। হয়তো সব কাজ সে নিখুঁত করে করতে পারবে না. কখনো ভুল হবে কিন্তু তার নিজের সক্ষমতা বাড়তেই থাকবে। একটি শিশু কৈশোর. তারুণ্য পার হয়ে পরিবার আর সমাজে যখন দায়িত্ববান সদস্য হিসেবে নিজের ভূমিকা রাখতে যায়. তখন কিন্তু তার শৈশবের শিক্ষাগুলো সবচেয়ে বেশি কাজে লাগে। বাবা-মায়েদের মনে একটা ধারণা থাকে. ‘ও কি এই বয়সে কিছু করতে পারবে’ বা ‘ও এটা খুব ভালো করে করতে পারবে না’ কিংবা ‘এটা করতে গেলে ওর অনেক কষ্ট হবে।’ এই ধারণাগুলো শিশুর জ্ঞানীয় (কগনিটিভ) বিকাশ আর সামাজিক-আবেগীয় (সোশিয়ো-ইমোশনাল) বিকাশকে বাধাগ্রস্ত করে. দায়িত্ব নিতে শেখায় না। আবার শৈশবে বা কৈশোরে শিশুকে কোনো দায়িত্ব এমনভাবে দেওয়া যাবে না. তার প্রতি কোনো টার্গেট ঠিক করে দেওয়া যাবে না. যাতে তারা সেগুলোকে বোঝা মনে করে। এ জন্য সামাজিক অনুষ্ঠানের মোড়কে. দৈনন্দিন যাপিত জীবনের সাধারণ কাজের মধ্য দিয়ে শিশুদের দায়িত্ব দিতে হবে। তারা যেন বিষয়টিকে-দায়িত্বটিকে আনন্দ হিসেবে গ্রহণ করে. বাড়তি কাজ হিসেবে নয়। সবাই মিলে কাজ করার অভ্যাস যদি পরিবারে থাকে. তবে পারিবারিক বন্ধনগুলো দৃঢ় হয়. অপরের মতামতকে মূল্য দিতে শেখে আর সবাইকে সঙ্গে নিয়ে চলতে পারে। বাবা-মায়েদের করণীয় * শিশু-কিশোরেরা কোনো কাজ স্বতঃস্ফূর্তভাবে করতে গেলে শুরুতেই তাদের নিরুৎসাহিত করবেন না। যদি মনে করেন কাজটিতে যুক্ত হওয়া তার জন্য সঠিক হচ্ছে না. তখন তাকে বুঝিয়ে বলুন। * কাজের ফলাফল যা-ই হোক. তাদের প্রতি বক্রোক্তি. সমালোচনা কিংবা আরেকজনের সঙ্গে তুলনা করবেন না। * পারিবারিক আর সামাজিক কর্মকাণ্ডে নিজেরাও অংশ নিন আর শিশুদেরও অংশ নিতে উৎসাহিত করুন। বিশেষ করে রাষ্ট্রীয় ও জাতীয় দিবসগুলোতে শিশুদের নিয়ে অংশ নিন। পারিবারিক পিকনিক. একসঙ্গে বেড়াতে যাওয়া. বিয়ে. জন্মদিনসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে শিশুদের নিয়ে যান। * পারিবারিক আর সামাজিক অনুষ্ঠানে শিশুদের সঙ্গে নিয়ে যাওয়াটাই সব নয়—এসব অনুষ্ঠানে শিশুদের তাদের বয়স উপযোগী দায়িত্ব দিন। হতে পারে ট্রেন. বাস বা প্লেনের টিকিটগুলোর একটি কপি তাদের কাছে রাখতে দেওয়া এবং যথাযথ সময়ে তাদের দিয়েই সেগুলো ব্যবহার করানো। ছোটখাটো কেনাকাটায় তাদের হাতে অল্প টাকা দিয়ে কেনাকাটার অভ্যাস করা. এতে তাদের মানি ম্যানেজমেন্ট দক্ষতা বাড়বে। * পিকনিকের আয়োজন থেকে শুরু করে খাবার তৈরি বা পরিবেশনায় তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করুন। হয়তোবা সবকিছু সুচারুভাবে তারা করতে পারবে না. কিন্তু আপনি মন খুলে তাদের প্রশংসা করুন. উৎসাহ দিন। * যেকোনো পারিবারিক আয়োজনের বিষয়ে তাদের ওপর কোনো সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেবেন না। তাদের কাছ থেকে মতামত নিন। আপনার এবং তাদের মতের সুবিধা-অসুবিধাগুলো তাদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিন। * শিশু-কিশোরেরা যদি পড়ালেখার পাশাপাশি বৃত্তিমূলক কোনো কাজ. হাতের কাজ শিখতে চায়. তবে তাকে উৎসাহ দিন। অনেক সময় দেখা যায়. মূলধারার পড়ালেখার চেয়েও শিশুদের জীবনে এই বৃত্তিমূলক শিক্ষা বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। * কোনো শিশু-কিশোর যদি এ ধরনের ছোটখাটো কাজ করতে খুবই অনাগ্রহ প্রকাশ করে. তবে কেন সে অনাগ্রহী হচ্ছে. তা খুঁজে দেখার চেষ্টা করুন। তার মধ্যে সোশ্যাল অ্যাংজাইটি. স্নায়ুবিকাশজনিত সমস্যা. মানসিক সমস্যা. থাইরয়েড হরমোনের ঘাটতি বা ব্যক্তিত্বের সমস্যা হচ্ছে কি না. তা নির্ণয়ের জন্য প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। * বাবা-মায়েদের মনে রাখতে হবে যে সন্তানের আরামের কথা চিন্তা করে তাকে কোনো দায়িত্ব দেওয়া থেকে বিরত থাকলে পরবর্তী সময়ে তারা সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগবে. দায়িত্বশীল নাগরিক হবে না এবং পদে পদে হোঁচট খাবে। এ কারণে শিশু-কিশোরদের ছোটবেলা থেকেই বয়স অনুযায়ী কাজ করার সুযোগ দিতে হবে। তবে গুরুত্বপূর্ণ কাজ দিলে বাবা-মায়েরা সেগুলো তদারকি করবেন আর কখনোই বিপজ্জনক বা ঝুঁকিপূর্ণ কাজের দায়িত্ব তাদের দেওয়া যাবে না। আহমেদ হেলাল সহযোগী অধ্যাপক. জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট. ঢাকা।
1,572,900
2019-01-02
মোমোর স্বাদ নিতে টেস্টি টিবেটে
রেস্তোরাঁ রিভিউ
তাবাসসুম ইসলাম
https://www.prothomalo.com/life-style/article/1572898/%E0%A6%AE%E0%A7%8B%E0%A6%AE%E0%A7%8B%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A6-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%9F%E0%A7%87%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%BF-%E0%A6%9F%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%9F%E0%A7%87
life-style
print
1
খাবারদাবার|অধুনা
বদলাচ্ছে এ শহর. বদলে যাচ্ছে শহুরে অভ্যাসগুলোও। খুব ভালো করে খেয়াল করলে দেখা যায়. পরিবর্তনের রং লেগেছে আমাদের খাদ্যাভ্যাসেও। মোড়ের দোকানের তেলে ভাজা পেঁয়াজি-বেগুনি কিংবা ঘুগনি দেওয়া ঝালমুড়ির বদলে ইদানীং শীতের সন্ধ্যাগুলোতে আমাদের সঙ্গী হয়ে উঠছে ভিনদেশি এক খাবার. মোমো। মোমোর জন্মস্থল তিব্বতে। সেখানকার পাহাড়ি সাদাসিধে মানুষেরা মাংস. মাছ বা সবজির পুরকে ময়দার আবরণে মুড়িয়ে বাষ্পের ভাপে তৈরি করে মোমো। ক্রমেই সুস্বাদু খাবারটি ছড়িয়ে পড়ে ভুটান. নেপাল. দার্জিলিং. সিকিম. গ্যাংটকসহ বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে। বাংলাদেশের বিভিন্ন রেস্তোরাঁয় মোমো পাওয়া গেলেও সম্প্রতি এ শহরে মোমোর জনপ্রিয়তা যেন একাই বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে ‘টেস্টি টিবেট’। ঘর থেকে বেরিয়ে ধানমন্ডিতে রোজই দেখি কমলা-সাদায় বড় করে লেখা ব্যানার ‘টেস্টি টিবেট’। আর এরপর ঢাকার যেদিকেই ছুটি না কেন. হোক তা বনানীর অফিসপাড়া কিংবা বসুন্ধরার আবাসিক এলাকা. সর্বত্রই টেস্টি টিবেট আর তার তিব্বতি মাস্কটের দেখা মেলে। কৌতূহলের বশেই তাই একদিন সন্ধ্যায় ঢুকে পড়লাম ধানমন্ডি ২৭–এর সুপার শপ ‘স্বপ্ন’–সংলগ্ন টেস্টি টিবেটের ফুডকোর্টটিতে। চার টেবিলের ফুডকোর্টটি আয়তনে বেশ ছোট এবং পার্শ্ববর্তী গ্লোরিয়া জিন্সও এটি ব্যবহার করে। যেহেতু একদল কাস্টমার উঠে যেতেই টেবিল চলে যাচ্ছে অন্য কারও দখলে. তাই এ ধরনের ফুডকোর্টে চটজলদি টেবিল পরিষ্কার করে ফেলা খুব জরুরি। কিন্তু এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষকে কিছুটা উদাসীন মনে হলো। সুপার শপের ভেতরে গিয়ে টেস্টি টিবেটের আলাদা কাউন্টারে খাবারের অর্ডার দিতে হয়। কাউন্টারেই চোখে পড়ল মোমো বানানোর ঐতিহ্যবাহী পাত্র ‘মাকটু’র আধুনিক রূপ। স্টিলের এ তিন তলা পাত্রে রয়েছে ছোট ছোট ছিদ্র আর পাত্রের একেবারে নিচের তলায় ফুটছে গরম পানি। সেই গরম পানির ভাপেই তৈরি হচ্ছে নানা রকম মোমো। রসনাবিলাসের বৈচিত্রময়তার কথা পুরোপুরি মাথায় রেখেই মেনু সাজিয়েছে টেস্টি টিবেট। তাই মেনু দেখে খানিকক্ষণ সিদ্ধান্তহীনতার দোলাচলে ভুগতে হয় বটে! চিকেন মোমোরই রয়েছে পাঁচটি রকমভেদ. আর সেই সঙ্গে গরুর মাংস. চিজ. সবজি. চিংড়ি এবং চকলেট মোমো তো রয়েছেই। বিজয়ের মাসে তাদের মেনুতে নতুন সংযোজন স্পিনাক বা পালংশাকের নির্যাস দিয়ে তৈরি গ্রিন চিকেন বেসিক মোমো এবং বিটরুটের রস থেকে তৈরি রেড চিকেন চিলি মোমো। এ ছাড়া সেদ্ধ মোমোর পাশাপাশি ফ্রায়েড মোমোর উল্লেখও পাওয়া গেল মেনুতে। যেকোনো মোমোই ৩ পিস. ৬ পিস কিংবা ৮ পিস অর্ডার দেওয়া যায়। পিস এবং ভেতরের পুরের ভিন্নতার সঙ্গে তারতম্য ঘটে দামের। বেছে নিলাম ৬ পিস চিকেন চিলি মোমো এবং ৩ পিস চকলেট মোমো। দাম পড়ল যথাক্রমে ১৬৭ টাকা এবং ১০৩ টাকা। সঙ্গে যোগ হলো ১৫% ভ্যাট। অর্ডার দেওয়ার সময়ই বিল মেটাতে হয় অর্থাৎ পে ফার্স্ট! তবে কার্ড কিংবা ক্যাশ দুই পদ্ধতিতেই বিল দিতে পারবেন আপনি। অর্ডার দিতে দিতে ঝটপট কিছু প্রশ্নও করে নিলাম কাউন্টারে দাঁড়ানো সেলসম্যানকে। আর সেখান থেকেই জানতে পারলাম টেস্টি টিবেট মূলত বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুরের একটি যৌথ প্রয়াস এবং ঢাকায় বর্তমানে এর ১৮টি শাখা রয়েছে। মিনিট দশেক পর ধোঁয়া ওঠা গরম-গরম মোমো হাজির হলো টেবিলে। চিকেন মোমোর সঙ্গে রয়েছে দুই রকম সস। বাইরের আবরণের ঠিকঠাক পুরুত্ব আর ভেতরের পুরে টাটকা স্বাদ দার্জিলিংয়ের টয় ট্রেনস্টেশনে খাওয়া মোমোর কথা মনে করিয়ে দিল ঠিকই. কিন্তু চকলেট মোমো বেশ হতাশই করল। ‘মুখে দিতেই গলে যাবে’—মোমোর এ প্রচলিত বৈশিষ্ট্য ঠিকঠাক মানা হয়নি ভিন্ন স্বাদের এ মোমোতে। এ ছাড়া মিষ্টির পরিমাণও যেন খানিকটা বেশি মনে হলো। ফুডকোর্টটি ছোট বলেই আয়েশ করে খাওয়ার সুযোগ টেস্টি টিবেটের ধানমন্ডির এ শাখাতে একটু কম। তবে বনানী. উত্তরাসহ আরও বিভিন্ন স্থানে রয়েছে তাদের পূর্ণাঙ্গ রেস্তোরাঁ। আবার বনানী ১১ বা বেইলি রোডের মতো কোনো কোনো শাখায় রয়েছে শুধু টেকওয়ের ব্যবস্থা. অর্থাৎ সেখান থেকে শুধু মোমো পার্সেল করে নিয়ে যেতে পারবেন আপনি। যখন অস্বাস্থ্যকর তেলে ভাজা খাবার আর ফাস্ট ফুডের একচ্ছত্র আধিপত্যে হাঁপিয়ে উঠছিল এ শহরবাসী. তখন টেস্টি টিবেটের মোমোর স্বাদ একই সঙ্গে মুগ্ধ করেছে ভোজনবিলাসী ও স্বাস্থ্যসচেতন মানুষকে। এতে নেই তেল-মসলার আধিক্য. নেই স্বাস্থ্যঝুঁকি। তাই যেকোনো বয়সী মানুষ নির্দ্বিধায় সুদূর তিব্বতে উদ্ভাবিত সুস্বাদু মোমো মুখে পুরে জটায়ুর মতো বলে ফেলতে পারেন. ‘উইকে একদিন করে মোমো খেতে পারলে মশাই ছয় মাসের মধ্যে চেহারায় একটা ধ্যানী ভাব এসে যাবে।’
1,572,898
2019-01-02
স্থাপত্য হয়ে উঠুক সবুজের কবিতা
আবাসন
রফিক আজম
null
https://www.prothomalo.com/life-style/article/1572896/%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AF-%E0%A6%B9%E0%A7%9F%E0%A7%87-%E0%A6%89%E0%A6%A0%E0%A7%81%E0%A6%95-%E0%A6%B8%E0%A6%AC%E0%A7%81%E0%A6%9C%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%95%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A6%BE
life-style
print
1
অধুনা|আবাসন|জেনে নিন|আবাসন মেলা
বিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝিতে যখন বিশ্বায়নের জয়জয়কার. মনে হচ্ছিল পৃথিবীর তাবৎ সুন্দর বিষয়গুলো বিশ্বায়িত হবে। দেশে দেশে অর্থনীতির ফারাক সংকুচিত হবে। বিশ্বায়িত হবে মানুষে মানুষে বিশ্বাস. শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা। কিন্তু দুঃখের সঙ্গে এই পৃথিবী দেখল যে বিশ্বায়িত হলো দেশে দেশে যুদ্ধ. অস্ত্র. হিংসা. বিদ্বেষ. অবিশ্বাস আর বিভিন্ন অবয়বে কার্বন। আর সরলভাবে বললে. এই কার্বনের প্রসার একাই যথেষ্ট এই পৃথিবীকে বসবাসের অযোগ্য করে তুলতে। সুতরাং এই ছোট্ট পৃথিবীকে বসবাসের জন্য আমাদের বিশ্ববাসীকে একত্রে কাজ করতে হবে। এটাই সত্য। আর এই যাত্রায় স্থপতিরা হচ্ছেন একদল মানুষ. যাঁরা জলবায়ু পরিবর্তন অনুধাবন করতে পারেন সামনের সারিতে দাঁড়িয়ে। স্থপতিমাত্রই কাজ করেন পরিসর আর পরিবেশ নিয়ে। এদের মধ্যকার মধ্যস্থতা নিয়ে। সুতরাং একজন স্থপতির জন্য জলবায়ু পরিবর্তনের কারণ ও ফল সম্পর্কে গভীরভাবে জানা গুরুত্বপূর্ণ। বিজ্ঞানীদের মতানুসারে. বিশ্বের তাপমাত্রা আর ৬ ডিগ্রি বাড়লেই পৃথিবী ধ্বংস হওয়ার উপক্রম হবে। গবেষণায় দেখা যায়. ২০৮০ সালে বাংলাদেশের তাপমাত্রা বেড়ে যাবে দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রা বাড়ার ফলে সমস্যা হবে ক্যাসকেডিং বা বহুমাত্রিক এবং এর করুণ পরিণতি ভোগ করবে বাংলাদেশের মানুষসহ আশপাশের দেশগুলো। এমতাবস্থায় এটি স্পষ্ট যে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে নগরকেন্দ্রিক স্থাপত্যচর্চায় স্থপতিদের ভূমিকা বিশাল সমুদ্রে এক বিন্দু জলের ফোঁটার মতো। তাই কেবল বৃহত্তর স্তর থেকে ক্ষুদ্রতম স্তর পর্যন্ত মানব সম্প্রদায়ের একটি সম্মিলিত এবং সংঘবদ্ধ জোর প্রচেষ্টাই পারে এই ধরণিকে রক্ষা করতে। তবে জলবায়ু নিয়ে সচেতন পদক্ষেপ স্থপতিদের নেতৃত্বে হওয়া একান্তভাবে কাম্য। স্থপতিরা জানেন. একটি নগর স্থাপত্যে যত উপাদান. যেমন দালান. দালানের মাঝখানের জায়গাগুলো. রাস্তা. ফুটপাত. উদ্যান. মাঠ. গাছগাছালি. পাখপাখালি সবকিছুতে কীভাবে সমন্বয় করতে হয়। এখন স্থপতিদের চ্যালেঞ্জটা হলো. কীভাবে কার্বন ফুটপ্রিন্ট কমিয়ে প্রকৃতিতে প্রাধান্য দিয়ে একটি টেকসই সমন্বিতরূপে নগর নির্মাণ করা যায়। দরকার দর্শনভিত্তিক স্থাপত্যচর্চার। যেমনটি বলেছেন কবি জালালউদ্দিন রুমি. ‘গাছের মতো হও. ঝেড়ে ফেলো মৃত পাতা’। এই প্রেক্ষাপটে ঢাকার দিকে তাকালে দেখি. ঢাকা হচ্ছে বিশ্বের একটি অত্যন্ত জনবহুল শহর এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ঝুঁকিপূর্ণ। নথি অনুযায়ী. বাংলাদেশ হলো জলবায়ু পরিবর্তনে সব থেকে কম ভূমিকা রাখা সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী একটি দেশ। বাংলাদেশ পার ক্যাপিটায় মাত্র শূন্য দশমিক ৪ মেট্রিক টন কার্বন উৎপাদন করে থাকে. যেখানে যুক্তরাষ্ট্র করে থাকে ১৭ মেট্রিক টন এবং যুক্তরাজ্য করে ৭ দশমিক ১ টন। এ কথা সত্যি যে ‘বিশ্বায়ন’ শব্দটি নতুন হলেও জলবায়ুর ক্ষেত্রে পৃথিবী বরাবরই ছিল বিশ্বায়িত। তাপ. দূষণ. মানবজাতির দায়িত্বহীন কর্মকাণ্ড. কোনো রকম বাধাবিঘ্ন ছাড়াই ছড়িয়ে পড়তে পারে বিশ্বময়। তাই ঢাকা শহরের সমস্যা আসলে স্থানিক নয়. বৈশ্বিকও বটে। বিশ্বের প্রসঙ্গে বাংলাদেশের প্রসঙ্গকে বোঝা. গোটা দেশের জলরাশিকে (হাইড্রোলজি) বোঝা খুব জরুরি শুধু স্থাপত্যের বিচারে একটি দাগ টানার জন্য। একটি সবুজ নগরীর জন্য আমাদের জানতে হবে ইতিহাস. প্রত্নতত্ত্ব. নৃতত্ত্ব. সামগ্রিক মনস্তত্ত্ব. ভূবিজ্ঞান. সূর্য. বাতাসের গতিপথ ইত্যাদি। সবকিছুর পরে এটাও সত্য যে বাংলাদেশ বসে নেই। বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে কাজ করে যাচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে। অতি সম্প্রতি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে ‘জল সবুজে ঢাকা’ নামের. যেখানে ৩১টি খেলার মাঠ আর পার্ককে সঠিকভাবে পুনরুজ্জীবিত করা হচ্ছে. যাতে নগরবাসী এগুলো অবাধভাবে ব্যবহার করতে পারে। এ জন্য প্রধানত এখানে থাকছে না আর কোনো নিরেট সীমানাদেয়াল। এগুলো দার্শনিকভাবে হয়ে উঠবে জনগণের জন্য উন্মুক্ত আর শহরের একটি অংশ। এতে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করবে সবুজে ঘেরা পরিবেশের মধ্য দিয়ে এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত। আশা করি এই প্রকল্পের সার্থকতা ঢাকাকে খানিকটা হলেও টেকসই সবুজের দিকে ধাবিত করবে। সামগ্রিকভাবে বলতে গেলে. বাংলাদেশ হলো বিশ্বের সবচেয়ে বড় ব–দ্বীপ। ৫০টির বেশি নদ–নদী. ১ হাজার ২০০–এর অধিক খাল–বিল উত্তরের হিমালয় থেকে পানি বয়ে নিয়ে আসে আর এঁকেবেঁকে ধাবিত হয়ে মিলিত হয় বঙ্গোপসাগরে। পানির প্রাচুর্য আর মানুষের সঙ্গে পানির গভীর সম্পর্ক বাংলাদেশকে পরিণত করেছে এক কবিতার দেশে। এই কবিতা আরও সমৃদ্ধ হয় বর্ষাকালে যখন এ দেশের ভূদৃশ্যের ক্যানভাসে পানিপ্রধান হয়ে নেতৃত্ব দেয়। বর্ষার পর যখন পানি কমতে থাকে. রেখে যায় পলিমাটি তার ভালোবাসার চিহ্নস্বরূপ। চাষযোগ্য হয়ে ওঠে জমি আর সবুজে সবুজে ছেয়ে যাওয়া প্রান্তর দোল খায় বাতাসের ছোঁয়ায়। আমাদের শহরগুলোও হওয়া দরকার এই আবেগে তৈরি। যেখানে শহর হবে জলরাশি. সূর্যের আলো আর বাতাসের লীলাভূমি. ধাবিত হবে কাব্যিক এক নগরীর দিকে। লেখক: স্থপতি
1,572,896
2019-01-02
মিরপুরে বিপিএলের কলরব
null
ক্রীড়া প্রতিবেদক. ঢাকা
https://www.prothomalo.com/sports/article/1572897/%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%AA%E0%A6%BF%E0%A6%8F%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%95%E0%A6%B2%E0%A6%B0%E0%A6%AC
sports
print
1
ক্রিকেট|বিপিএল টি২০|টি টোয়েন্টি ক্রিকেট
বছর ঘুরে আবারও আসছে বিপিএলের রঙিন আসর। দেশের একমাত্র টি-টোয়েন্টি ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ মাঠে গড়াবে ৫ জানুয়ারি। প্রতিযোগিতাকে সামনে রেখে পড়ে গেছে সাজ সাজ রব। বছর ঘুরে আবারও আসছে বিপিএলের রঙিন আসর। দেশের একমাত্র টি-টোয়েন্টি ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ মাঠে গড়াবে ৫ জানুয়ারি। প্রতিযোগিতাকে সামনে রেখে পড়ে গেছে সাজ সাজ রব। বিপিএলের মৌসুম এসে গেছে। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামেও ফিরে এসেছে পুরোনো দৃশ্য। খেলোয়াড়দের মেলা বসতে শুরু করেছে সেখানে। ৫ জানুয়ারি থেকে শুরু বিপিএলকে সামনে রেখে ফ্র্যাঞ্চাইজি দলগুলো অনুশীলন করছে একাডেমি মাঠে। অনুশীলন শেষে সংবাদমাধ্যমের সামনে হাজির হচ্ছেন খেলোয়াড়েরা। বিপিএল মাঠে গড়ানোর আগে কাল সেখানেই কিছু ‘বাউন্সার’ ধেয়ে এল সিলেট সিক্সার্সের সাব্বির রহমানের দিকে। আচরণবিধি ভাঙার অপরাধে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে ছয় মাসের নিষেধাজ্ঞা কাটাচ্ছেন সাব্বির। নিষেধাজ্ঞা শেষ হতে আরও এক মাস বাকি। তার আগেই ঘরোয়া ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ বিপিএলে খেলবেন এই ব্যাটসম্যান। কাল সিলেট সিক্সার্সের প্রতিনিধি হয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অপ্রিয় প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হলো তাঁকে। ‘বাউন্সারে’ কিছু হুক-পুল খেলে একপর্যায়ে অবশ্য কথা শেষ না করেই চলে যান তিনি। তার আগে অবশ্য সাব্বির বলেছেন ভুল থেকে শিক্ষা নেওয়ার কথা. ‘কাল (পরশু) রাতে প্রতিজ্ঞা করেছি...২০১৮ সালটা আমার অনেক খারাপ কেটেছে। আজ (গতকাল) নতুন বছরের প্রথম দিন। সামনে তাকিয়ে আছি এখন।’ জাতীয় লিগ আর বিসিএলে খেললেও গত পাঁচ মাস মানসিক অস্থিরতার মধ্যেই কাটিয়েছেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে দূরে থাকা সাব্বির। স্বপ্ন দেখছেন বিপিএলে ভালো কিছু করতে. যেন নিষেধাজ্ঞা ওঠার পর আবার ফিরতে পারেন জাতীয় দলে। এবার সিলেট সিক্সার্সের মূল আকর্ষণ অস্ট্রেলিয়ার ডেভিড ওয়ার্নার। বল টেম্পারিংয়ের অভিযোগে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে তিনিও এখন বহিষ্কৃত. ফিরবেন মার্চে। তার আগে বিপিএলেই প্রস্তুতিটা সেরে নেবেন সিলেটের অধিনায়ক। সাব্বির আশাবাদী. ওয়ার্নারের অভিজ্ঞতার সঙ্গে স্থানীয়দের চেষ্টায় বিপিএল থেকে এবার ভালো কিছুই পাবে তাদের দল। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস নিয়ে একই রকম আশা এনামুল হক বিজয়ের. ‘খুবই ভালো দল হয়েছে আমাদের। তামিম ভাই আছেন. ইমরুল কায়েস ভাই আছেন. বিদেশিদের মধ্যে শোয়েব মালিক. স্টিভেন স্মিথ. শহীদ আফ্রিদির মতো খেলোয়াড় আছেন। কোচ. ম্যানেজমেন্ট সবাই অনেক সাহায্য করছেন।’ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সম্ভাবনাময় শুরুর পরও জাতীয় দলে ক্রমেই অনিয়মিত হয়ে পড়েছেন এনামুল। সুযোগ পেলেও দিতে পারেন না সামর্থ্যের প্রমাণ। সাব্বিরের মতো এই টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানও নিজেকে ফিরে পেতে কাজে লাগাতে চান বিপিএলকে. ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ দিয়ে জাতীয় দলে ফেরার পর যখন ভালো করতে পারলাম না. তখন থেকে প্রতিটি ম্যাচই আমার কাছে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি। সব সময় তৈরি থাকার চেষ্টা করব। আমি ২০১৯ বিশ্বকাপে খেলতে চাই। এর জন্য যতটুকু পারফর্ম করা দরকার. চেষ্টা করব করতে।’ সাব্বিরের যেমন আছেন ওয়ার্নার. এনামুল তেমনি কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের ড্রেসিংরুমে পাবেন স্মিথকে। এই অস্ট্রেলিয়ানের কাছে এনামুলের জানার আছে অনেক কিছু। কিছু প্রশ্ন তো নাকি তৈরিও করে রেখেছেন. ‘এত বড় সুপারস্টারের কাছে অনেক কিছুই শেখার আছে। আমি নিজেও কিছু প্রশ্ন তৈরি করে রেখেছি। এ ছাড়া আফ্রিদি. শোয়েব মালিক ভাই আছেন। চেষ্টা করব সবার কাছ থেকেই কিছু শিখতে।’ শুরুতে কোনো দল না নিলেও শেষ পর্যন্ত মুশফিকুর রহিমের দল রাজশাহী কিংসে জায়গা হয়েছে শাহরিয়ার নাফীসের। সে জন্য ফ্র্যাঞ্চাইজির প্রতি কৃতজ্ঞ এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। চেষ্টা করবেন পারফরম্যান্স দিয়ে প্রতিদান দিতে। শাহরিয়ারের দৃষ্টিতে এবার সব দলই প্রায় সমান শক্তির হলেও স্থানীয় ক্রিকেটারদের দিক দিয়ে রাজশাহীই এগিয়ে. ‘স্থানীয় ক্রিকেটারদের দিক দিয়ে আমরাই সবচেয়ে ভারসাম্যপূর্ণ দল। আমাদের বিদেশি ক্রিকেটাররাও টি-টোয়েন্টির জন্য দারুণ কার্যকরী। নিজেদের দিনে তারা যেকোনো দলকে হারানোর ক্ষমতা রাখে।’
1,572,897
2019-01-02
কেন চা চাই?
গুণাগুণ
মন্তব্য
https://www.prothomalo.com/life-style/article/1572893/%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%A8-%E0%A6%9A%E0%A6%BE-%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%87
life-style
print
1
অধুনা|পরামর্শ
ফুরফুরে দিনের সঙ্গে চায়ের যোগসূত্র কী. তা নিয়ে অনেক গবেষণা আছে। চায়ের কাপে তুমুল ঝড় তুলে সেই আলোচনাও চলতে পারে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। চায়ের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান শরীরকে চাঙা করে. তারুণ্যকে ধরে রাখে। পুষ্টিবিদেরা মনে করেন. দুধ. চিনি ছাড়া চা. বিশেষ করে গ্রিন টি শরীরের জন্য সবচেয়ে ভালো। শহুরে লোকের কাছে চা এতটাই প্রিয় যে নানা স্বাদের চা নিয়েই শুধু অলিগলি থেকে শুরু করে নানা জায়গায় রেস্তোরাঁ গড়ে উঠেছে। সেসব দোকানে চা–ই মুখ্য. সঙ্গে চায়ের সঙ্গে মিলিয়ে অন্য মুখরোচক খাবার। শীতের সকালে এক কাপ চা হাতে নিয়ে পড়ে ফেলুন কেন এই চা পান করছেন। ওজন কমাতে গ্রিন টি. ব্ল্যাক টির (দুধ. চিনি ছাড়া চা) অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ম্যাগনেশিয়াম চর্বি কমিয়ে ওজন কমাতে সাহায্য করে। বিশেষ করে পেশি মজবুত করে. মেটাবলিজম বাড়ায়। ওজন কমানোর জন্য দুধ–চিনি ছাড়া চা ও গ্রিন টি উপকারী। দিনে চারবার চা পান করতে পারেন। এর বেশি নয়। বেশি পান করলে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটতে পারে। ক্যানসার প্রতিরোধে শুরুতেই বলে নেওয়া ভালো. চা কোনো জাদুকরি পানীয় নয়. যা খেলে ক্যানসার হবে না বা সেরে যাবে। তবে এটা সত্য. বিজ্ঞানীরা নানা গবেষণা করে বলেছেন. চায়ের গুণাগুণ স্তন. কোলন. ত্বক. ফুসফুস. পাকস্থলী ও জরায়ুর ক্যানসার প্রতিরোধে সাহায্য করে। সুস্থ হৃদ্‌যন্ত্র নিয়মিত চা পানে হৃদ্‌যন্ত্র সুস্থ থাকে। কফির থেকে চায়ে ক্যাফেইন কম থাকে. সে কারণে হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি কমায়। ত্বকে তারুণ্য চোখের নিচে বলিরেখা. কালো দাগ. মুখে ক্লান্তি সব দূর করতে পারে চা। পান করে তো বটেই. ত্বক পরিচর্যায়ও চা ব্যবহার করতে পারেন। টি–ব্যাগ দিয়ে চা বানানোর পর তা ফ্রিজে রেখে দিন। বাইরে থেকে ফিরে টি–ব্যাগ চোখের ওপরে ১০–১৫ মিনিট রাখুন। নিমেষে ক্লান্তি দূর। মানসিক চাপ কমাতে যখনই খুব কাজের চাপে বা চিন্তায় থাকেন. মনে হয় চায়ের চুমুকে মিলবে সমাধান। কথাটা পুরোপুরি মিথ্যা নয়। প্রিয় স্বাদের চায়ের সুবাস ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান খানিক সময়ের জন্য হলেও মস্তিষ্কে ভালো লাগা পৌঁছে দেবে। এতে আপনার অস্বস্তি. দুঃশ্চিন্তা কমে মনে হালকা ভাব আনবে। ঘুমের জন্যও চা অনেক বিশেষজ্ঞ বলেন. চা ঘুমের জন্য ক্ষতিকর। তবে ক্যামোমাইল ও আদা চা ঘুমের ঘণ্টা দুয়েক আগে পান করলে চোখে দ্রুত ঘুম চলে আসবে। বিশেষ করে ক্যামোমাইল স্বাদের চা দুশ্চিন্তা দূর করে. ইনসোমনিয়া প্রতিরোধ করে। খুসখুসে কাশি ও মাথা ব্যথা সারাতে যুগ যুগ ধরে খুসখুসে কাশি. নাক বন্ধ. গলাব্যথা ও মাথাব্যথা সারাতে আদা চা. তুলসী চা খুব কার্যকর। অর্ণবের গানের মতো শেষে বলতে চাই. ‘ভালোবাসা তাই অন্য কোথাও চায়ের কাপে নিজের সাম্রাজ্য নিজেই গড়ুক’। চায়ের প্রতি ভালোবাসা থেমে না যাক. সঙ্গে যোগ হোক সুস্থতা ও হৃদয়ে উষ্ণতা। পুষ্টিবিদ আখতারুন্নাহার আলোর সঙ্গে কথা বলে লিখেছেন তৌহিদা শিরোপা
1,572,893
2019-01-02
আসনসংখ্যায় রেকর্ড. ভোটের ব্যবধানেও
null
শওকত হোসেন ও রিয়াদুল করিম. ঢাকা
https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1572890/%E0%A6%86%E0%A6%B8%E0%A6%A8%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%96%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A1-%E0%A6%AD%E0%A7%8B%E0%A6%9F%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%AC%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%93
bangladesh
print
1
নির্বাচন|আওয়ামী লীগ|রাজনীতি|একাদশ সংসদ নির্বাচন|বিএনপি
• বিশাল ব্যবধানে জিতেছে আ. লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট• ভোটের হার নিয়ে জন্ম দিয়েছে নানা আলোচনা• মহাজোট প্রদত্ত ভোটের ৭৫ শতাংশের বেশি ভোট পেয়েছে • বিএনপির নেতৃত্বাধীন ঐক্যফ্রন্টের প্রাপ্ত ভোট ১২–১৫ শতাংশের মধ্যে • বিজয়ী প্রার্থীদের ১১০ জনই পেয়েছেন প্রদত্ত ভোটের ৯০ শতাংশের বেশি • বিপুল ভোটের হিসাবে সরকারি দলের মধ্যেও কিছুটা অস্বস্তি দেখা দিয়েছে • বিশাল ব্যবধানে জিতেছে আ. লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট• ভোটের হার নিয়ে জন্ম দিয়েছে নানা আলোচনা• মহাজোট প্রদত্ত ভোটের ৭৫ শতাংশের বেশি ভোট পেয়েছে • বিএনপির নেতৃত্বাধীন ঐক্যফ্রন্টের প্রাপ্ত ভোট ১২–১৫ শতাংশের মধ্যে • বিজয়ী প্রার্থীদের ১১০ জনই পেয়েছেন প্রদত্ত ভোটের ৯০ শতাংশের বেশি • বিপুল ভোটের হিসাবে সরকারি দলের মধ্যেও কিছুটা অস্বস্তি দেখা দিয়েছে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মহাজোটের মহাবিজয়ের পরে ভোটের হিসাব-নিকাশ নিয়ে নানা আলোচনার জন্ম দিয়েছে। নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট ২৮৮টি আসন পেয়েছে। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ ২৬০টি আসনে প্রার্থী দিয়ে জয়ী হয়েছে ২৫৭টিতে। কেবল আসনসংখ্যা নয়. বিজয়ী প্রার্থীদের প্রাপ্ত ভোটের হিসাব এবং ভোটের ব্যবধান অতীতের সব রেকর্ডকে ছাড়িয়ে গেছে। নির্বাচন কমিশন সূত্রে পাওয়া ফলাফল অনুযায়ী. মহাজোট প্রদত্ত ভোটের ৭৫ শতাংশের বেশি ভোট পেয়েছে। আর বিএনপির নেতৃত্বাধীন ঐক্যফ্রন্টের প্রাপ্ত ভোট ১২ থেকে ১৫ শতাংশের মধ্যে। নির্বাচনে বিজয়ী প্রার্থীদের ১১০ জনই পেয়েছেন প্রদত্ত ভোটের ৯০ শতাংশের বেশি ভোট। আর বিপুল ভোটের এই হিসাব সরকারি দলের মধ্যেও কিছুটা অস্বস্তি দেখা দিয়েছে। বিএনপি এই ফল প্রত্যাখ্যান করেছে। সাধারণ মানুষও ভোটের ফলাফলে অনেকটা বিস্মিত। পশ্চিমা গণমাধ্যমে এর সমালোচনা করে লেখালেখি হচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মর্যাদাপূর্ণ পত্রিকা ওয়াশিংটন পোস্ট লিখেছে. ভোটের এমন ব্যবধান বাংলাদেশের মতো একটি গণতান্ত্রিক দেশের কাছে প্রত্যাশিত নয়। নির্বাচনে মহাজোটের জয় যেমন ছিল একচেটিয়া. ভোটের আগে প্রচারণাও ছিল তা-ই। ভোটের দিনেও একচেটিয়া প্রচার ছিল মহাজোটের প্রার্থীদের। কেন্দ্রে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীদের কোনো এজেন্ট দেখা যায়নি। ভোট কারচুপির জন্য বিএনপি পুলিশ ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে। এবারে নির্বাচনী সহিংসতায় মারা গেছেন ১৭ জন। তবে সরকারি দলের পক্ষ থেকে এই ফলাফলকে স্বাভাবিক বলা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন. বিএনপির ভরাডুবি বিএনপির দোষে। আর প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা বলেছেন. ‘জনগণ যেভাবে ভোট দিয়েছে সেভাবে ভোট হয়েছে।’ আবার রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা মনে করেন. বিএনপি দলটিও ছিল অপ্রস্তুত. কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ ছিল না। এটিও সরকারি দলের একচেটিয়া বিজয়ের কারণ। তবে ঘাঁটি বলে পরিচিত আসনগুলোতে বিপুল ব্যবধানে যেভাবে বিএনপির প্রার্থীরা পরাজিত হয়েছেন. তাতে ভোটের সামগ্রিক ফল নিয়ে প্রশ্ন থেকে যাবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা। সাবেক নির্বাচন কমিশনার ড. এম সাখাওয়াত হোসেন প্রথম আলোকে বলেন. সব মিলিয়ে পত্রিকায় প্রকাশিত তথ্য. ভোটের ধরন ও ফলাফল দেখে অনেকের মতো তিনি নিজেও কিছুটা হতভম্ব। বিশ্লেষণে কিছু জায়গায় কিছু অস্বাভাবিকতা দেখা যাচ্ছে। অন্যান্য নির্বাচনে এ রকম দেখা যায়নি. এটা নিয়ে পর্যালোচনার ব্যাপার আছে। বিএনপির সবচেয়ে খারাপ অবস্থা হয়েছিল ২০০৮ সালের নির্বাচনে। সেবার তারা ২৭টি আসন পেয়েছিল. ভোট পেয়েছিল ৩০ শতাংশ। এবার এর চেয়েও অনেক খারাপ অবস্থা হয়েছে। এটাও একটা গবেষণার বিষয় যে কেন এমন হলো। ৯০ ভাগের বেশি ভোট পেয়েছেন ১১০ জন একটি আসনে যত বৈধ ভোট পড়েছে. তার ৯০ শতাংশের বেশি পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন ১১০ জন প্রার্থী। এঁদের মধ্যে ১০৮ জন আওয়ামী লীগের প্রার্থী। বাকি দুজনও আওয়ামী লীগের জোটের শরিক। তাঁরা হলেন সাতক্ষীরা-১ আসনে ওয়ার্কার্স পার্টির মোস্তফা লুৎফুল্লা এবং পিরোজপুর-২ আসনে জেপির আনোয়ার হোসেন। ৯৯ শতাংশ ভোট পাওয়া ছয়জন প্রার্থীর মধ্যে আছেন সিরাজগঞ্জ-১ আসনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম. গোপালগঞ্জ-১ আসনে ফারুক খান. গোপালগঞ্জ-২ আসনে শেখ ফজলুল করিম সেলিম. মাদারীপুর-১ আসনে নূর-ই-আলম চৌধুরী লিটন. শরীয়তপুর-১ আসনে ইকবাল হোসেন। এসব আসনে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীরা ১ শতাংশের কম ভোট পেয়েছেন। আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবার পেয়েছেন ৯৯ শতাংশ ভোট. ২০০৮ সালের নির্বাচনেও পেয়েছিলেন ৯৭ শতাংশ ভোট। এ ছাড়া বিজয়ীদের মধ্যে ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ ভোট পেয়েছেন ৮৯ জন. ৭০ থেকে ৭৯ শতাংশ ভোট পেয়েছেন ৪৫ জন. ৬০-৬৯ শতাংশ ভোট পেয়েছেন ২৮ জন. ৫০ থেকে ৫৯ শতাংশ ভোট পেয়েছেন ১৮ জন এবং ৩০ থেকে ৪৯ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন ৬ জন। দুজনের বিষয়ে তথ্য পাওয়া যায়নি। অন্যদিকে. ১৪৬টি আসনে মহাজোটের প্রার্থীদের প্রতিদ্বন্দ্বীরা ১০ শতাংশেরও কম ভোট পেয়েছেন। এর মধ্যে অন্তত ৮৩টি আসনে তাঁদের ভোট ৫ শতাংশেরও কম। এঁদের প্রায় সবাই ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী। অন্তত ১৯টি আসনে দ্বিতীয় হয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থীরা। এই দলটি এবার ২৯৮টি আসনে প্রার্থী দিয়েছিল। তবে কোথাও তাদের প্রার্থী জয়ী হয়নি। নির্বাচন কমিশন সূত্রে পাওয়া ভোটের ফলাফলের প্রাথমিক তথ্য বিশ্লেষণ করে এই চিত্র পাওয়া গেছে। ১৭টি আসনে মোটামুটি প্রতিদ্বন্দ্বিতা ভোটের ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা যায়. ২৯৮টি সংসদীয় আসনের মধ্যে মাত্র ১৭টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ভোট হয়েছে। বাকি আসনগুলোতে মূলত ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীরা কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতাই গড়ে তুলতে পারেননি। যে আসনগুলোতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে সেগুলোর বেশির ভাগ উত্তরবঙ্গে। পঞ্চগড়-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মজাহারুল হক প্রধান ৫৫ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। বিএনপির প্রার্থী নওশাদ জমির পেয়েছেন ৪২ শতাংশ ভোট। এ ছাড়া পঞ্চগড়-২. ঠাকুরগাঁও-৩. দিনাজপুর-৪. লালমনিরহাট-৩. কুড়িগ্রাম-১. বগুড়া-৪ (বিএনপি জয়ী). চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১. ২. ৩. নওগাঁ-১ ও ৩. রাজশাহী-২ আসনে মহাজোট ও ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীদের ভোটের হার মোটামুটি কাছাকাছি। এসব আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে। এ ছাড়া বরিশাল-৩. টাঙ্গাইল-৮. ফরিদপুর-৪. কুমিল্লা-১ আসনেও দুই জোটের প্রার্থীদের ভোটের ব্যবধান কাছাকাছি। সবখানে বিশাল ব্যবধানে হারলেও খালেদা জিয়ার আসন বগুড়া-৬ থেকে বড় ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি ৮১ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির নুরুল ইসলাম ওমর পেয়েছেন ১৫ শতাংশ ভোট। অবশ্য নিজের আসন ঠাকুরগাঁও-৩-এ বড় ব্যবধানে হেরেছেন মির্জা ফখরুল। এখানে তিনি পেয়েছেন ৩৬ শতাংশ ভোট. আর বিজয়ী প্রার্থী আওয়ামী লীগের রমেশ চন্দ্র সেন পেয়েছেন ৬৩ শতাংশ ভোট। আগের হিসাব ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পাওয়া ভোটের হার ছিল ৪৯ শতাংশ। বিএনপি পেয়েছিল ৩৩ দশমিক ২ শতাংশ। ২০০১ সালে অষ্টম সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ পেয়েছিল ৪০ দশমিক ২ শতাংশ ভোট. আর বিএনপি পেয়েছিল ৪২ দশমিক ৩ শতাংশ ভোট। সেবার সরকার গঠন করেছিল বিএনপি। ১৯৯৬ সালে সরকার গঠন করেছিল আওয়ামী লীগ। সেবার তারা পেয়েছিল ৩৭ দশমিক ৪ শতাংশ ভোট। বিপরীতে বিএনপি পেয়েছিল ৩৩ দশমিক ৬ শতাংশ ভোট। ১৯৯১ সালের নির্বাচনে বিএনপি সরকার গঠন করেছিল। সেবার আওয়ামী লীগ ভোট পায় ৩০ দশমিক ১ শতাংশ আর বিএনপি ৩০ দশমিক ৮০ শতাংশ। একাদশ সংসদ নির্বাচনে দলভিত্তিক ভোটের হার এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তবে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন. আওয়ামী লীগের ভোট ৭৫ শতাংশের বেশি হবে। আর বিএনপির ভোট হবে ১২ থেকে ১৫ শতাংশ। ঘাঁটিতেও দুর্দশা বিএনপির ফেনী-১ ও ৩ আসনে ১৯৯১ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত কখনো হারেনি বিএনপি। একইভাবে লক্ষ্মীপুর ১. ৩ ও ৪ আসনও বিএনপির আসন হিসেবে পরিচিত। এসব আসনে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীরা শুধু যে পরাজিত হয়েছেন. তা নয়. হেরেছেন বিশাল ব্যবধানে। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিজের এলাকা ফেনীর তিনটি আসনের কোনোটিতে বিএনপি ১১ শতাংশের বেশি ভোট পায়নি। ফেনী-১ আসনে বিএনপির প্রার্থী প্রায় ১১ শতাংশ. ফেনী-২ আসনে ২ শতাংশ আর ফেনী-৩ আসনে বিএনপির প্রার্থী পেয়েছেন ৭ শতাংশ ভোট। লক্ষ্মীপুর-১ আসনে ঐক্যফ্রন্টের (এলডিপি) প্রার্থী পেয়েছেন ২ শতাংশ ভোট। আওয়ামী লীগের আনোয়ার হোসেন খান পেয়েছেন ৯৬ শতাংশ ভোট। লক্ষ্মীপুর-২-এ বিএনপির প্রার্থী প্রায় ১০ শতাংশ. লক্ষ্মীপুর-৩ আসনে ৬ শতাংশ এবং লক্ষ্মীপুর ৪ আসনে ১৮ শতাংশ ভোট পেয়েছেন বিএনপির প্রার্থী। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের জেলা বগুড়াতেও বিএনপির শক্তিশালী অবস্থান আছে বলে বিবেচনা করা হয়। এখানে তুলনামূলক ভালো ফল করেছে বিএনপি। বগুড়ার ৭টি আসনের মধ্যে দুটি আসনে (বগুড়া-৪ ও ৬) বিএনপির প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। আর বগুড়া-১ আসনে বিএনপির প্রার্থী পেয়েছেন প্রায় ৬ শতাংশ. বগুড়া-২-এ প্রায় ২৫ শতাংশ. বগুড়া-৩-এ ২৬ শতাংশ. বগুড়া-৫-এ ১২ শতাংশ ভোট পেয়েছেন বিএনপির প্রার্থী। বড় ব্যবধানে বিজয় বেশির ভাগ আসনে জয়ী প্রার্থীদের সঙ্গে পরাজিতদের ভোটের ব্যবধান লাখের ওপরে। সবচেয়ে বড় ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন ঢাকা-১৯ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ডা. মো. এনামুর রহমান। তাঁর সঙ্গে বিএনপির প্রার্থীর ব্যবধান ৪ লাখ ২০ হাজার ৬৪৮ ভোটের। রাজবাড়ী-২ আসনে জিল্লুল হাকিম জয়ী হয়েছেন ৩ লাখ ৯৩ হাজার ভোটের ব্যবধানে। কুমিল্লা-১০ আসনে আওয়ামী লীগের আ হ ম মুস্তফা কামাল জয়ী হয়েছেন ৩ লাখ ৯২ হাজারের বেশি ভোটের ব্যবধানে। জামালপুর-৩ আসনে মির্জা আজম তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীর চেয়ে ৩ লাখ ৮০ হাজার ভোট বেশি পেয়েছেন। নোয়াখালী-৪ আসনে একরামুল করিম চৌধুরী জয়ী হয়েছেন ৩ লাখ ৭২ হাজার ভোটের ব্যবধানে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনে আওয়ামী লীগের র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বিএনপির প্রার্থীর চেয়ে ৩ লাখ ৪৭ হাজারের বেশি ভোট পেয়েছেন। এ ছাড়া জামালপুর-৫ আসনে মোজাফ্ফর হোসেন ৩ লাখ ৪২ হাজার ৯৩৫. পিরোজপুর-১ আসনে শ ম রেজাউল করিম ৩ লাখ ৩০ হাজার. যশোর-৩ আসনে কাজী নাবিল আহমেদ ৩ লাখ ২৯ হাজার. সিরাজগঞ্জ-১ আসনে মোহাম্মদ নাসিম ৩ লাখ ২৩ হাজার ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন। বিএনপির বড় নেতাদের ফল বিএনপির বড় নেতারাও এই নির্বাচনে হেরেছেন বড় ব্যবধানে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ নোয়াখালী-৫ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে। এই আসনে মওদুদ পেয়েছেন ১০ হাজার ৯৭০ ভোট। আর ওবায়দুল কাদের পেয়েছেন মোট ভোটের ৯৩ শতাংশ বা ২ লাখ ৫২ হাজার ৭৪৪ ভোট। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন কুমিল্লার দুটি আসন থেকে নির্বাচন করে বড় ব্যবধানে হেরেছেন। এর মধ্যে কুমিল্লা-১ আসন থেকে পেয়েছেন ৯৫ হাজার ৫৪২ ভোট। এই আসনে আওয়ামী লীগের সুবিদ আলী ভূঁইয়া পেয়েছেন ১ লাখ ৩৫ হাজার ৮৭৩ ভোট। কুমিল্লা-২ আসন থেকে খন্দকার মোশাররফ পেয়েছেন ২০ হাজার ৯৩৩ ভোট। এই আসনে আওয়ামী লীগের সেলিমা আহমাদ ২ লাখ ৬ হাজার ১৬ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। চট্টগ্রাম-১১ আসনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী পেয়েছেন ৫২ হাজার ৮৯৮ ভোট। এই আসনে জয়ী আওয়ামী লীগের এম আবদুল লতিফ পেয়েছেন ২ লাখ ৮৩ হাজার ১৬৯ ভোট। ঢাকা-৭ আসনে বিএনপির মির্জা আব্বাস পেয়েছেন ৩৮ হাজার ৭১৭ ভোট। এই আসনে মহাজোটের প্রার্থী রাশেদ খান মেনন পেয়েছেন ১ লাখ ৩৯ হাজার ৫৩৮ ভোট। নরসিংদী-২ আসনে বিএনপির আবদুল মঈন খান পেয়েছেন ৭ হাজার ১৮০ ভোট। এই আসনে আওয়ামী লীগের আনোয়ারুল আশরাফ খান ১ লাখ ৭৫ হাজার ৭১১ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। ঢাকা-৩ থেকে বিএনপির গয়েশ্বর চন্দ্র রায় পেয়েছেন ৭ শতাংশ ভোট (১৬ হাজার ৬১২) আর ২ লাখ ২১ হাজার ৩৫১ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের নসরুল হামিদ। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য. রাষ্ট্রবিজ্ঞানী হারুন অর রশীদ প্রথম আলোকে বলেন. বিএনপি বা ঐক্যফ্রন্ট যেভাবে নির্বাচনে অংশ নিয়েছে. তাকে অংশ নেওয়া বলা যায় না। তারা সর্বাত্মকভাবে নির্বাচনে নামেনি। শুরু থেকে শুধু অভিযোগ আর অভিযোগ করে গেছে। স্থানীয়ভাবে যেসব জায়গায় বিএনপির শক্ত অবস্থান ছিল. সেখানে তারা ভালো করেছে। লাখের বেশি ভোটও পেয়েছে। সাংগঠনিক এবং আদর্শিক দিক থেকে বিএনপি বড় ধরনের বিপর্যয়ে পড়ে আছে। বিএনপির দীর্ঘদিনের সাংগঠনিক দুর্বলতা ও রাজনৈতিক চর্চার ফল এই পরিণতি। যার অধীনেই নির্বাচন হতো বিএনপির একই পরিণতি হতো। তাদের ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য নতুনভাবে সংগঠিত হতে হবে।
1,572,890
2019-01-02
নতুন সরকার: ডাক দিয়ে যাই
নির্বাচন ২০১৮
মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন
১০
https://www.prothomalo.com/opinion/article/1572889/%E0%A6%A8%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%A8-%E0%A6%B8%E0%A6%B0%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%A1%E0%A6%BE%E0%A6%95-%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A7%87-%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%87
opinion
print
1
রাজনীতি
শুরুর কথা ৩০ ডিসেম্বর. ১৬ পৌষ নির্বাচনে ভূমিধস বিজয়ের দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন জনবন্ধু শেখ হাসিনা। চতুর্থ মেয়াদে প্রধানমন্ত্রীর গুরুত্বপূর্ণ. তবে অত্যন্ত কঠিন যাত্রাপথে তাঁকে প্রাণঢালা অভিনন্দন ও শুভকামনা জানাই। শেখ হাসিনার শাসনকালে সব কটি জাতীয় সংসদ নির্বাচন যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে। জাতির জনকের নিজ হাতে গড়া আওয়ামী লীগ ১৯৯১ সালে পঞ্চম. ১৯৯৬ সালে সপ্তম. ২০০১ সালে অষ্টম ও ২০০৮ সালে নবম সংসদ নির্বাচনে ভোট পেয়েছিল যথাক্রমে ৩৪. ৩৭. ৪১ ও ৪৮ শতাংশ। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই পারিসংখ্যানিক প্রবণতায় ৬০ শতাংশ ভোট পাওয়াটাই যুক্তিযুক্ত। তবে অন্যবারের মতো এবার আমার নিজের হিসাব–নিকাশ ঠিক হয়নি। আওয়ামী লীগ ১৮০-১৯০টি আর বিএনপি ৯০-৯৫টি আসন পাবে বলে অনুমান বিপুলভাবে ভুল প্রমাণিত হয়ে গেল। বিএনপি বনাম আওয়ামী লীগ বিএনপির ভোট বিপর্যয়ের কারণ হিসেবে (ক) প্রায় ১০ বছরের জনবিচ্ছিন্নতা; (খ) ২০১৪ সালের নির্বাচনে না গিয়ে প্রতিহত করার নামে মানুষ পোড়ানো ও সম্পত্তি নষ্ট করা; (গ) অবরোধ নাটক করা; (ঘ) শেখ হাসিনার অনন্য সাহসী ৫০-৫০ ফর্মুলার মন্ত্রিসভার কাঠামো প্রত্যাখ্যান করা; (ঙ) স্বাধীনতাবিরোধী. দেশদ্রোহী অপশক্তি মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরুদ্ধে মানবতা হত্যার অপরাধীদের সঙ্গে যতিবিহীন গাঁটবন্ধনে থাকা; (চ) পাকিস্তান তথা আইএসআইয়ের সঙ্গে প্রকাশ্য দহরম-মহরম; (ছ) পরিবারতন্ত্রে নেতৃত্বের সংকট; (জ) কার্যত কোনো উন্নয়ন কার্যক্রমের পরিকল্পনা না করাকে কারণ বলে মনে করা হয়। সুশৃঙ্খল ও সংগঠিত সবল নেতৃত্ব. নজরকাড়া অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি. হৃদয় উষ্ণ করা সামাজিক অগ্রগতি. সাংস্কৃতিক পুনরুত্থান এবং প্রায় দুই বছর ধরে সঠিক পথে নির্বাচনী প্রস্তুতি গ্রহণ আওয়ামী লীগের বিজয়. অর্থাৎ ২৫৯টি আসনে জয়ী হতে সহায়তা করেছে বৈকি। এই নির্বাচনের অন্যতম বিশাল সফলতা: দেশদ্রোহী. জঙ্গি. যুদ্ধাপরাধী জামায়াতিরা কোনো আসনেই জয়লাভ করেনি। শেখ হাসিনার অনন্য বিজয়গাথা অকুতোভয়. চৌকস. দক্ষ. গতিময়. উদ্ভাবনী. জ্ঞানালোকে উজ্জ্বল এবং মানুষকে কাছে টেনে ভালোবাসার মোহনীয় ক্ষমতা শেখ হাসিনাকে এক জাদুকরি নেতৃত্বের উচ্চ আসনে নিয়ে গেছে। দেড় বছর পর তিনি ইন্দিরা গান্ধী. চন্দ্রিকা কুমারাতুঙ্গা. মার্গারেট থ্যাচার. ভিগদিস ভিনগোদি ও মেরি মেকলিসকে টপকিয়ে পৃথিবীর দীর্ঘতম সময়ের সফল সরকারপ্রধান হিসেবে বিরাজমান হবেন। বিশ্বসভা তাঁর নেতৃত্বকে মর্যাদা দেয়। তিনি মাদার অব দ্য আর্থ। শেখ হাসিনা মানবতার মাতা। তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তীর্ণ হয়েছে অনন্য কৃতিত্বের সঙ্গে। বোদ্ধারা বলছেন. আগামী ১২–১৪ বছরে বাংলাদেশ পৃথিবীর ২৬তম বৃহৎ অর্থনীতি হয়ে উঠবে। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের সমীক্ষা: নারীর ক্ষমতায়নে লিঙ্গসমতা সূচকে চারটি ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বিশ্বসেরা আর সামগ্রিক সূচকে ১৪৯টি দেশের মধ্যে ৪৮তম স্থানে—দক্ষিণ এশিয়ার অন্য সব দেশের তুলনায় অনেক ওপরে। ১৯৭২ সালে হিউস্ট ফ্যালান্ড আর জ্যার্ক পারকিনসন ‘বাস্কেট কেস’ বলে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সার্বভৌমত্বে সন্দিহান হয়ে যে কটাক্ষ করেছিলেন. বিশ্বের তাবৎ অর্থনীতিবিদ. প্রতিষ্ঠান ও দেশ শেখ হাসিনার বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে তিনটি সবচেয়ে দ্রুত প্রবৃদ্ধির অর্থনীতি বলে স্বীকৃতি দিয়ে তার জোরালোভাবে খণ্ডন করেছে। জাতিসংঘের মানব উন্নয়ন সূচক এইচডিআইতে বাংলাদেশ এখন মধ্যম পর্যায়ে—৭২ বছরের গড় আয়ু. শিশুমৃত্যুর হার হাজারে ৩০–এর নিচে আসা. শিক্ষায় উচ্চহার. সুপেয় পানি ও বিজ্ঞানসম্মত পয়োনিষ্কাশনে অগ্রগতি এবং চমকপ্রদ সামাজিক সুরক্ষা বলয়ের কাঠামোতে নাকি এ ক্ষেত্রে শক্তি জুগিয়েছে। শেখ হাসিনা মানুষকে ভালোবাসেন। শিশুদের আরও বেশি এবং শারীরিকভাবে হুমকির সম্মুখীনদের সবচেয়ে বেশি মমতায় তিনি আপন করতে পারেন বলেই আপামর জনসাধারণ তাঁর মনোনীত প্রার্থীদের ভোট বাক্স ভরে দিয়েছেন। আত্মপ্রসাদ নয় আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সতর্কবাণী না শুনে নির্বাচন কমিশনের কিছুটা হলেও গাফিলতির ছিদ্র দিয়ে কতিপয় অতি উত্সাহী ৩০–৩৫টি সংসদীয় আসনে ৮৫ থেকে ৯৫ শতাংশ ভোটার উপস্থিত করে আওয়ামী লীগের বিজয়ীদের ৯০ শতাংশ ভোটপ্রাপ্তি ঘটিয়েছেন। এটি গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। নির্বাচন কমিশন তদন্ত করে যথাবিহিত ব্যবস্থা নিতে পারে। সার্বিক ফলাফলে এর কোনো প্রভাব নেই. তা মানতেই হবে। বলা বাহুল্য. একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সহিংসতা বাংলাদেশের অতীত অবস্থান ও সমসাময়িক বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশগুলোর তুলনায় কম বৈ বেশি নয়। ২০০১ সালের নির্বাচনোত্তর তাণ্ডব এবং ২০১৪ সালে প্রতিহত করার উন্মাদনার কথা কে না স্মরণ করে! আগামী পাঁচ বছরের করণীয় বড় বিজয়. মজবুত নেতৃত্ব। যেখানে আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনা. সেখানে উন্নয়ন ধারণাই জনগণকে এ বিজয়কেতন ওড়াতে উদ্বুদ্ধ করেছে। রাজনীতি. অর্থনীতি ও সমাজনীতিতে অত্যন্ত দৃঢ়ভাবে সুশাসন প্রতিষ্ঠার সংস্কার করতে হবে। কোনো সংস্কারই সহজ না. সে জন্যই আসন্ন সরকারের প্রথম ছয় মাসের মধ্যে সব না হলেও মুখ্য ঘরোয়া সংস্কারগুলোতে হাত দিতে হবে। জনমনে প্রত্যাশা. হাসিনা সরকার বিশাল কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবে। অর্থনীতিতে সমৃদ্ধি ও নতুন কর্মসংস্থান বৃদ্ধিতে প্রবৃদ্ধি মডেল বদল করে ব্যাপক শিল্পায়ন ও বহুমুখিতা আনা সমীচীন হবে। শিল্পায়নে কর্মসংস্থান হবে. বাড়বে আয় রোজগার. কমবে দারিদ্র্য ও বঞ্চনা এবং হ্রাস পাবে আয়. সম্পদ ও সুযোগবৈষম্য। এটি করতে হলে অবকাঠামোগত অব্যাহত প্রবৃদ্ধি ঘটাতে হবে. প্রয়োজন হবে অধিকতর বিনিয়োগযোগ্য তহবিল। সরকারি খাতে দুর্নীতি হ্রাস ও দক্ষতা বৃদ্ধি করে সরকারি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান থেকে উদ্বৃত্ত তহবিল সঞ্চয় জরুরি। বেসরকারি খাতের বিনিয়োগ বৃদ্ধির স্থিতাবস্থা দূর করতে হলে একদিকে যেমন আকর্ষণীয় পলিসি সংস্কার করে প্রণোদনা দিতে হবে. অন্যদিকে তেমনি করহার না বাড়িয়ে অনেক বেশি রাজস্ব আদায় করতে হবে। উপযুক্ত নীতি–কৌশলে মুদ্রা পাচার বন্ধ করা এবং রপ্তানিতে জোয়ার আনতে অর্থনীতির ক্ষেত্রে তথা ব্যাংকিং বিমা ও মূলধন মার্কেটে বহু বিলম্বিত সংস্কার এনে স্বচ্ছতা. দক্ষতা ও সততার পথ চালু করতে হবে। সুশাসনে নৈতিকতা. আইন প্রয়োগে কৃতসংকল্পতা এবং জনসংখ্যাকে জনশক্তিতে রূপান্তর করা প্রয়োজন। নির্বাচনী ইশতেহারের ঘোষণা অনুযায়ী. তারুণ্যের শক্তিকে বিকশিত করার জন্য ১৫ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে অবস্থানকারী তরুণ. তরুণী. যুবক ও যুব মহিলাকে বৃত্তিমূলক ও প্রযুক্তি শিক্ষায় পারদর্শী করে তুলতে হবে। প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের মতোই উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের ভর্তি অনুপাত বর্তমানের ৪৩: ৫৭ থেকে ৫০: ৫০–তে রূপান্তর করা প্রয়োজন। শিক্ষাক্ষেত্রে প্রতিবছর সামষ্টিক আয়ের শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ হারে বরাদ্দ বৃদ্ধি করে ২০২৩ সালে শিক্ষাক্ষেত্রের বরাদ্দ জিডিপির শতকরা শূন্য ৫ ভাগে উন্নীত করা সমীচীন হবে। অনুরূপভাবে স্বাস্থ্য খাতের বিনিয়োগ ব্যবস্থাপনায় দক্ষতা আনাও প্রয়োজন। একটি নতুন ড্রাগ ব্যবস্থাপনা ও প্রশাসন বিভাগ স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়কে আরও সমৃদ্ধ করবে। ভূমি ব্যবস্থাপনায় চাই লিজিংসহ নতুন চিন্তাধারা ইশতেহারের ঘোষণা অনুযায়ী. দুর্নীতি দমনে আরও কঠোর ব্যবস্থা প্রয়োজন। সুশাসনের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপ্রধানের ক্ষমতা কিছুটা বৃদ্ধি. ন্যায়পাল নিয়োগ ও সংবিধানের ৭০ ধারার প্রয়োগে সীমারেখা আনা যায় কি না. তা–ও দেখা যেতে পারে। ঢাকা মেট্রোপলিটন গভর্নমেন্ট এবং বেশ কিছু মন্ত্রণালয় ও প্রতিষ্ঠানকে ঢাকার বাইরে স্থানান্তর করা যায়। রেলপথ ও জলপথের গতিময় উন্নতি প্রয়োজন। বস্ত্রশিল্প. পর্যটন. মত্স্য. দুগ্ধ. আসবাব. চামড়া. ওষুধ. খেলাধুলার সরঞ্জাম. মোটরযান সংযোজন. সিরামিকস ইত্যাদি শিল্পের প্রসার ঘটিয়ে আগামী পাঁচ বছরে তৈরি পোশাক ও নিট আয়ের সমকক্ষ বিকল্প শিল্প খাত সৃষ্টির প্রয়াস নেওয়া যেতে পারে। পরিশেষে জাতির পিতার নির্দেশিত পথ অনুসরণ করে কল্যাণরাষ্ট্রে আধুনিক. বিজ্ঞানমনস্ক. প্রযুক্তিনির্ভর. গণতান্ত্রিক. অসাম্প্রদায়িক. দুর্নীতি ও বঞ্চনামুক্ত সমতাপ্রবণ সোনার বাংলাদেশ গঠনে সর্ববলিষ্ঠ পদক্ষেপ নেওয়ার পথ খুলে দিয়েছে একাদশতম জাতীয় সংসদ নির্বাচন। বৃহৎ ও মহৎ প্রতিবেশী ভারত. অর্থনীতির পরাশক্তি চীনসহ আন্তর্জাতিক মহল নির্বাচনের বিজয়ে সাধুবাদ জানানোর লহরি সৃষ্টি করেছে ইতিমধ্যে। শেখ হাসিনার অসাধারণ নেতৃত্ব দৃঢ় পদক্ষেপে বাংলাদেশকে জনকল্যাণের একটি আদর্শ গন্তব্যে নিয়ে যেতে পারবে. সে আশা অবশ্যই করা যাবে। ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ও ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য
1,572,889
2019-01-02
সোনার দাম বাড়ছে আজ
null
নিজস্ব প্রতিবেদক. ঢাকা
https://www.prothomalo.com/economy/article/1572888/%E0%A6%B8%E0%A7%8B%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%AE-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A7%9C%E0%A6%9B%E0%A7%87-%E0%A6%86%E0%A6%9C
economy
print
1
বাণিজ্য সংবাদ
বছরের শুরুতেই দেশের বাজারে সোনার দাম বাড়ছে। আন্তর্জাতিক বাজারে সোনার দর বাড়ায় প্রতি ভরি সোনায় সর্বোচ্চ ১ হাজার ৫১৭ টাকা দাম বাড়ছে। তাতে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেট সোনার ভরির দাম দাঁড়াচ্ছে ৪৮ হাজার ৯৮৯ টাকা। নতুন এ দর আজ বুধবার থেকে সারা দেশে কার্যকর হবে। বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) গতকাল মঙ্গলবার রাতে সোনার দাম বাড়ার ঘোষণা দেয়। গত ২৩ ডিসেম্বর সোনার দাম ভরিতে ১ হাজার ১৬৭ টাকা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সমিতি। তবে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে পরে সিদ্ধান্তটি স্থগিত করে তারা। দর বাড়ায় আজ থেকে প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেট সোনা ৪৮ হাজার ৯৮৯ টাকা. ২১ ক্যারেট ৪৬ হাজার ৬৫৬ টাকা এবং ১৮ ক্যারেট সোনা বিক্রি হবে ৪১ হাজার ৬৪০ টাকায়। সনাতন পদ্ধতির সোনার ভরি আগের মতোই থাকছে. অর্থাৎ ২৭ হাজার ৫৮৫ টাকা। একইভাবে রুপার ভরি ১ হাজার ৫০ টাকা অপরিবর্তিত থাকছে। এদিকে গতকাল পর্যন্ত প্রতি ভরি ২২ ক্যারেট সোনা ৪৭ হাজার ৪৭২ টাকা. ২১ ক্যারেট ৪৫ হাজার ১৯৮ টাকা. ১৮ ক্যারেট ৪০ হাজার ১২৪ টাকায় বিক্রি হয়। আজ থেকে ২২ ও ১৮ ক্যারেট সোনার ভরিতে ১ হাজার ৫১৭ টাকা দাম বাড়ছে। ২১ ক্যারেটে ভরিতে বাড়ছে ১ হাজার ৪৫৮ টাকা। প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটে ৯১ দশমিক ৬ শতাংশ. ২১ ক্যারেটে ৮৭ দশমিক ৫ শতাংশ. ১৮ ক্যারেটে ৭৫ শতাংশ বিশুদ্ধ সোনা থাকে। অলংকার তৈরিতে সোনার সঙ্গে মজুরি ও মূল্য সংযোজন কর (মূসক) যোগ হবে।
1,572,888
2019-01-02
নাক বন্ধ হলে
কুশল সংবাদ
মো. শরিফুল ইসলাম
https://www.prothomalo.com/life-style/article/1572887/%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%95-%E0%A6%AC%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A7-%E0%A6%B9%E0%A6%B2%E0%A7%87
life-style
print
1
অধুনা|আমার ডাক্তার|পরামর্শ
নাক বন্ধ থাকা একটি প্রচলিত সমস্যা। সাধারণ থেকে জটিল. বিভিন্ন কারণে নাক বন্ধ থাকে। কিন্তু এই সময়ে হঠাৎ নাকের ভেতর বন্ধ হয়ে গেছে। কথা বলার সময়ও নাকে কথা বেঁধে আসছে। শীতের সময় এমন সমস্যা হতেই পারে। শুষ্ক আবহাওয়ায় ধুলাবালুর কারণে অ্যালার্জি হলে নাক বন্ধ হওয়ার মতো সমস্যা হতে পারে। ভাইরাসজনিত কারণে এ সময়ে নাক বন্ধ হতে পারে। নাক বন্ধ হওয়ার পাশাপাশি ঘ্রাণ নিতে অসুবিধা হওয়া. মাথাব্যথা. হালকা সর্দি. জ্বর বা কাশিও থাকতে পারে। এ ছাড়া কথা বলার সময় অসুবিধা হতে পারে। জাতীয় নাক কান গলা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক ও অধ্যাপক মাহমুদুল হাসান বলেন. দেখা যায় সাধারণত ঠান্ডা লেগে নাক বন্ধ হয়ে যায়। নাকের ভেতরে কিছু টিস্যু রয়েছে। এগুলো ছোট হয়ে যায়. কখনো বড় হয়। এটি নাকের বাতাস চলাচলের রাস্তাকে নিয়ন্ত্রণ করে। এ ছাড়া নাকের মাঝখানের যে ভাগটি রয়েছে. সেটিও মাঝেমধ্যে সমস্যা করে। অনেক সময় দেখা যায়. সর্দি হয়ে নাক বন্ধ হয়ে গেল. মুখ দিয়ে শ্বাস ফেলছে। কী করবেন গরম পানিতে মেনথলের দুই-তিনটি দানা ছেড়ে দিয়ে সেই পানির ভাপ নিতে পারেন। প্রয়োজনে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নাকের ড্রপ ব্যবহার করতে পারেন। অ্যান্টি হিস্টামিন জাতীয় ওষুধ খেতে পারেন। তবে নাকের ড্রপগুলো দীর্ঘদিন বা চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ব্যবহার করা উচিত নয়। কারণ. একটানা দীর্ঘদিন ব্যবহার করলে একসময় সেটির কারণেই আবার নাক বন্ধ হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা হতে পারে। এক পাশের নাক বন্ধ নাকি উভয়? এ সময়ে ভাইরাস বা অ্যালার্জির কারণে নাক বন্ধ হলে দুপাশের নাকই বন্ধ হয়ে থাকে। যদি কারও শুধু এক পাশের নাক বন্ধ হয়. সে ক্ষেত্রে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। কারণ নাকের কোনো টিউমার. নাকে ছত্রাক সংক্রমণ বা অন্য কোনো কারণে এক পাশের নাক বন্ধ হয়ে যেতে পারে। শিশুর নাক বন্ধ? নাক বন্ধ থাকার কারণে ঘুমাতে পারে না. বিরক্ত হয় ও কাঁদে। আধা কাপ হালকা কুসুম গরম পানিতে চার ভাগের এক চামচ লবণ মিশিয়ে স্যালাইন ড্রপ তৈরি করুন। শিশুকে চিত করে শুইয়ে কাঁধের নিচে একটা তোয়ালে গোল করে মাথাটা খানেক উঁচু করে দিন। এবার ৩০ থেকে ৬০ সেকেন্ড পর পর দুই বা তিন ফোঁটা করে নাকে এই ড্রপ দিয়ে দিন। একটু পর কাত করে নাকের সর্দি বের হতে দিন এবং টিস্যু বা পাতলা কাপড় দিয়ে পরিষ্কার করে দিন। কখনোই নাকের ভেতর টিস্যু বা কটন বাড ঢোকাবেন না। প্রতিরোধ ভাইরাসজনিত সর্দি-জ্বরে অসুস্থ ব্যক্তি হাঁচি-কাশির সময় নাকেমুখে রুমাল বা টিস্যু পেপার চেপে ধরলে অন্যদের মধ্যে জীবাণু ছড়াবে না। বাইরে থেকে ফিরে প্রত্যেকেরই হাত ধোয়া উচিত। কারণ. হাতের মাধ্যমেও জীবাণু ছড়াতে পারে। বাসায় ধুলাময়লা জমতে দেওয়া চলবে না। এতে অন্তত ঘরের মধ্যে ধুলাবালুর কারণে অ্যালার্জির সমস্যা থেকে বাঁচা যাবে। লেখক: চিকিৎসক
1,572,887
2019-01-02
ফেসবুকে নিমন্ত্রণ
ফেসবুক
মুসলিমা জাহান
https://www.prothomalo.com/life-style/article/1572886/%E0%A6%AB%E0%A7%87%E0%A6%B8%E0%A6%AC%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A3
life-style
print
1
অধুনা|ফেসবুক|জেনে নিন
শায়লা হাসানের শৈশবের অন্যতম শখ ছিল বিয়ের দাওয়াতপত্র জমানো। বাসায় কোনো দাওয়াতপত্র এলেই মা-বাবার কাছ থেকে চেয়ে নিয়ে গোপন ফাইলে বন্দী করতেন। ছুটির দিনে নানান কারুকাজময় দাওয়াতপত্রগুলো বের করে দেখেটেখে আবার রেখে দিতেন। সেই শায়লা হাসানের বিয়েতে কোনো দাওয়াতপত্র ছাপানো হয়নি। আত্মীয়-বন্ধুদের নিমন্ত্রণে বেছে নেওয়া হয়েছিল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম (ফেসবুক)। সেখানে ইভেন্ট খুলে নিমন্ত্রিত ব্যক্তিদের বিয়ের দিন-ক্ষণ. স্থান—সবকিছু জানানো হয়। ফেসবুক ইভেন্ট হচ্ছে একধরনের পঞ্জিকা. যেখানে আসন্ন ঘটনা সম্পর্কে ব্যবহারকারীদের অবহিত করা যায়। যেকোনো ফেসবুক ব্যবহারকারী এটি খুলতে পারেন। মাল্টিন্যাশনাল প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবী শায়লা বলেন. নিজের কাজ নিয়ে খুব ব্যস্ততা। তার ওপর বিয়েতে কেনাকাটাসহ অনেক কাজ থাকে। ফলে সবার হাতে হাতে বিয়ের দাওয়াতপত্র পৌঁছানো সময়সাপেক্ষ ও পরিশ্রমের। আবার অনেক পরিবারের সবাই চাকরিজীবী। তাঁদের নির্ধারিত সময়ে দাওয়াতপত্র পৌঁছে দেওয়া বেশ ঝক্কির। সবাই যেহেতু ফেসবুকে আছেন. তাই ইভেন্ট খুলে নিমন্ত্রণ দেওয়ায় সময়. পরিশ্রম ও খরচ বেঁচে গেছে। তবে মুঠোফোনে সবাইকে ফোন দিয়ে নিমন্ত্রণের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে বলে জানান এই তরুণী। ফেসবুকের কারণে জীবনে অনেক ধরনের পরিবর্তন এসেছে। এ পরিবর্তন কতটা ইতিবাচক. কতটা নেতিবাচক. সে নিয়ে বিতর্ক আছে। তবে ইভেন্টের মাধ্যমে কম সময়ে. কম খরচে. কম পরিশ্রমে অনেক মানুষের কাছে পৌঁছানোর সুযোগ বেড়েছে বলে মন্তব্য বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানুর। স্বাধীনতার আগে থেকেই নানান সামাজিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত ছিলেন এই নারীনেত্রী। মালেকা বানু বলেন. যেকোনো সামাজিক অনুষ্ঠানে মানুষকে যুক্ত করতে আগে বাড়ি বাড়ি গিয়ে যোগাযোগ করতে হতো। অনেক সময় মাইকিং বা হাতে লেখা পোস্টার-লিফলেট বিতরণ করা হতো। ব্যক্তি সম্পর্কের উন্নয়ন ঘটলেও এটি বেশ কষ্টদায়ক ছিল। ফেসবুক ঘেঁটে দেখা গেছে. এখানে কেনাকাটা. খাবার. ভ্রমণ. খেলাধুলা. গান. ক্র্যাফটস. নেটওয়ার্কিংসহ বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ইভেন্ট খোলার ব্যবস্থা আছে। এখন বিয়ে থেকে শুরু করে জন্মদিন. সেমিনার. সামাজিক আন্দোলন বা অনুষ্ঠানসহ যেকোনো বিষয়ে ইভেন্ট খুলে নিমন্ত্রণের কাজ সারার পাশাপাশি ইভেন্টটি সম্পর্কে জানানো হয়। সম্প্রতি ইভেন্ট ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠানগুলোও তাঁদের কাজের জন্য এই প্ল্যাটফরম বেছে নিয়েছেন। সুহানা-নয়ন রহমান দম্পতির সন্তানদের পরীক্ষা শেষ। নয়ন ফেসবুকে নিঝুম দ্বীপে বেড়ানোর ইভেন্ট দেখে পরিবারসহ সেখানে বেড়াতে যাওয়ার পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেছেন। নয়ন বলেন. এখন ফেসবুকের পাতায় পাতায় ঘুরে বেড়ায় বিভিন্ন স্থানে বেড়ানোর ইভেন্ট। সেখানে লাইক দিয়ে সব তথ্য জানা যায় নিমেষেই। তবে চাকরিজীবী শোয়েব হোসাইন এক বন্ধুর বিয়েতে রওনা দিয়েও শেষ পর্যন্ত যাননি। তাঁর মতে. এ ধরনের নিমন্ত্রণে আন্তরিকতার ঘাটতি আছে। এর মাধ্যমে নানান বিব্রতকর পরিস্থিতিও তৈরি হয়। পত্রিকায় প্রকাশ. ২০১১ সালে জার্মানির এক মেয়ের জন্মদিনে ১ হাজার ৬০০ অতিথি এসে হাজির। কারণ. মেয়েটি অসাবধানতাবশত ইভেন্টটি পাবলিক করে দিয়েছিল। পরে ভিড় সামলাতে পুলিশ নামাতে হয়েছিল। এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মো. আনোয়ার হোসেন বলেন. বিশ্বায়ন ও সামাজিক প্রেক্ষাপট বদলের কারণে মানুষের ব্যস্ততা. কাজের পরিধি বেড়েছে। সে পরিবর্তনের সঙ্গে তাল মেলাতে যোগাযোগের ধরনে বদল এসেছে. ভার্চ্যুয়াল যোগাযোগও বেড়েছে—বিষয়টি ইতিবাচক। তবে খেয়াল রাখতে হবে. যত সুফলই থাকুক না কেন. প্রযুক্তি যেন আমাদের নিয়ন্ত্রণের সুযোগ না পায়।
1,572,886
2019-01-02
একটা উপন্যাস লেখা শুরু করেছি: মিনার
null
হাবিবুল্লাহ সিদ্দিক. ঢাকা
null
https://www.prothomalo.com/entertainment/article/1572885/%E0%A6%8F%E0%A6%95%E0%A6%9F%E0%A6%BE-%E0%A6%89%E0%A6%AA%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%B8-%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%96%E0%A6%BE-%E0%A6%B6%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%81-%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%9B%E0%A6%BF-%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%B0
entertainment
print
1
আলাপন
নতুন বছরে বেশ কিছু খবর জানালেন তরুণ সংগীতশিল্পী মিনার রহমান। সব খবরই তাঁর জন্য গুরুত্বপূর্ণ। মিনার–ভক্তদের জন্যও। চলুন তাঁর সঙ্গে আলাপে জেনে নিই বিস্তারিত। নতুন বছরে বেশ কিছু খবর জানালেন তরুণ সংগীতশিল্পী মিনার রহমান। সব খবরই তাঁর জন্য গুরুত্বপূর্ণ। মিনার–ভক্তদের জন্যও। চলুন তাঁর সঙ্গে আলাপে জেনে নিই বিস্তারিত। নতুন বছরে নতুন কী খবর দিতে চাইছেন? অনেকগুলো খবর আছে। আপাতত গানগুলো নিয়ে বলি। এই মাসের মধ্যেই আমার একটা নতুন গান আসবে গানচিল থেকে। ‘উড়ে উড়ে’ নামে গানটির মিউজিক ভিডিও হবে। তারপরই আসবে। আর ‘ঠাকুরমার ঝুলি’ নামে একটা অন্য রকম গান করছি। এটা নিয়ে খুব টেনশনে আছি। আর ধ্রুব মিউজিক স্টেশন থেকেও একটা গান আসবে। এসব নিয়েই বছরের শুরুর দুই–তিন মাস কেটে যাবে। নিয়মিত কাজ তো আছে। বইয়ের কথা কী যেন বলছিলেন? এটা এখনই বলতে চাইছি না। কিন্তু যখন জিজ্ঞেস করলেন. একটু ধারণা দিতে পারি। একটা উপন্যাস লেখা শুরু করেছি। ইচ্ছা আছে এবারের বইমেলায় প্রকাশ করার। শেষ না করা অবধি অবশ্য কিছুই বলা যাচ্ছে না। বইটার প্রচ্ছদও আমি করব। নতুন বছরের প্রথম দিন কীভাবে কাটালেন? আমার বোন ও দুলাভাই এসেছেন চট্টগ্রাম থেকে। তাঁদের নিয়ে নতুন বছর কাটিয়েছি। পুরোপুরি পারিবারিকভাবে নতুন বছর উদ্যাপন। খুব মজা করেছি। কোনো পরিকল্পনা আছে নতুন বছর নিয়ে? গান করতে চাই। তবে সেটা অবশ্যই ভালো মানের গান। ২০১৮ সালটা আমার জন্য অনেক ভালো গিয়েছে। আমার মনে হয়. মিউজিকের ক্ষেত্রে একটু নতুনত্ব আনতে হবে। শুনেই যেন শ্রোতারা বলেন. ‘সামথিং নিউ।’ আসলে. শ্রোতারা যেন নতুন কিছু পান. সেই চেষ্টা করব। গেল বছর তো নানা ধরনের গান ভাইরাল হলো। সে ক্ষেত্রে কি আপনার গানের শ্রোতা একটু কমে গিয়েছে? একেবারেই সে রকম নয়। নতুন গান হলে নতুন শ্রোতা তৈরি হবে। আমরা তো চাই নতুন নতুন গান হোক। তবে সত্যি কথা হলো. আমার গানের একটা আলাদা শ্রোতাশ্রেণি আছে. যারা নিয়মিত আমাকে গানের উৎসাহ দেয়। গান শোনে। এ কারণে নিয়মিত গান করব। শেষ তিন প্রশ্ননতুন বছরে কী করবেন না? গত বছরে আমি বেশ মোটা হয়েছি। এবার শুকাব। কম খাব। আপনার প্রথম প্রেমিকার নাম কী? নাম মনে পড়ছে না। কার সঙ্গে ডুয়েট গান করার ইচ্ছা আছে? রুনা লায়লা ম্যামের সঙ্গে।
1,572,885
2019-01-02
ফিরছেন মাঠের মাশরাফি
null
ক্রীড়া প্রতিবেদক. ঢাকা
https://www.prothomalo.com/sports/article/1572883/%E0%A6%AB%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A6%9B%E0%A7%87%E0%A6%A8-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A0%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B6%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%AB%E0%A6%BF
sports
print
2
মাশরাফি বিন মুর্তজা|ক্রিকেট|বিপিএল টি২০
নড়াইল–২ আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে কাল ঢাকায় ফিরেছেন। বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের লক্ষ্য নিয়ে এবার মনোযোগী হতে চান ক্রিকেটে। নড়াইল–২ আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে কাল ঢাকায় ফিরেছেন। বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের লক্ষ্য নিয়ে এবার মনোযোগী হতে চান ক্রিকেটে। গত ২৩ ডিসেম্বর নড়াইলে গিয়েছিলেন ক্রিকেটার মাশরাফি বিন মুর্তজা। কাল ঢাকায় ফিরলেন সাংসদ হয়ে। নিজ শহরে এবারের সফরটা সব মিলিয়ে ৯ দিনের। এর মধ্যেই নির্বাচনী প্রচারণা. নির্বাচন এবং সংসদ সদস্যের মুকুট পরে ফেলা। রাজনীতিতে নেমেই বিপুল ভোটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলেও ক্রিকেটার পরিচয়টাই এখনো অগ্রাধিকার পাচ্ছে মাশরাফির কাছে। নির্বাচনের মাত্র দুই দিনের মধ্যে নিজ এলাকা আর ভোটারদের ছেড়ে ঢাকায় ফেরার সেটিই কারণ। ঢাকা ফেরার পথে কাল মুঠোফোনে মাশরাফি বলছিলেন. ‘কাল (আজ) থেকে বিপিএলে আমাদের অনুশীলন শুরু হওয়ার কথা। আমি চাচ্ছি অনুশীলনের শুরু থেকে দলের সঙ্গে থাকতে। খেলাটাই তো আমার পেশা।’ বিপিএলের অনুশীলনে জাতীয় দলের মতো কড়াকড়ি নেই। মাশরাফি তাতে এক-দুই দিন পর যোগ দিলেও কারও কিছু বলার ছিল না। কিন্তু খেলার মাঠে সেরাটা দিতে হলে যে অনুশীলনের বাইরেও কিছু করতে হয়! মাশরাফি যেমন এ মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন নিজের ফিটনেসকে। তা ছাড়া একজন খেলোয়াড় মাঠ থেকে কত দিন আর দূরে থাকতে পারেন! মাশরাফির রক্তেও নির্বাচন শেষ হতেই ফুটতে শুরু করেছে ক্রিকেট. ‘আগে যেভাবে খেলেছি. অনুশীলন করেছি...এখনো সেভাবেই সময়মতো সবকিছু করব। ফিটনেসের ওপর বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। আমার শরীরের অবস্থা তো আর সবার মতো নয়। কাজেই এটার ওপর জোর দিতেই হবে।’ ভোটের মাঠে সরাসরি উপস্থিতি কম ছিল মাশরাফির। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ শেষে নির্বাচনে সময় দিতে পেরেছেন মাত্র সাত-আট দিন। রাজনীতিতে এত অল্প সময়ের বিনিয়োগে সংসদ সদস্য হওয়াটাকে রেকর্ডই বলতে হবে। যদিও মাশরাফি এতে অস্বাভাবিক কিছু দেখছেন না. ‘এমন তো নয় যে আমি ভোট উপলক্ষে হঠাৎ করে নড়াইলে গেছি। নড়াইলে আমার নিয়মিত যাতায়াত আছে। মানুষের কাছেই ছিলাম।’ জিম্বাবুয়ে ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ. এরপর নির্বাচন-সব মিলিয়ে তিন-চার মাস ধরে কম চাপ যায়নি মাশরাফির ওপর দিয়ে। খেলা. অধিনায়কত্ব আর রাজনীতির মধ্যে ভারসাম্য রাখতে প্রতিটি পদক্ষেপ ফেলতে হয়েছে সতর্কভাবে। হাতে সময় কম থাকায় নির্বাচনের আগের কয়দিন নড়াইলে গিয়ে ছুটোছুটিও করতে হয়েছে অনেক বেশি। অবশ্য নির্বাচনে নড়াইল-২ আসনে মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ দেখে চাপের কথা প্রায় ভুলেই গেছেন তিনি. ‘মানুষ অনেক স্বতঃস্ফূর্ত ছিল। এটা দেখেই বেশি ভালো লেগেছে। এক শ বছরের এক বৃদ্ধাকে দেখলাম তার ৬০ বছর বয়সী মেয়ের কোলে চড়ে ভোট দিতে এসেছেন। ভোট শেষে অনেকে আমার সঙ্গে দেখাও করেছেন। মানুষের এ রকম ভালোবাসা পাওয়ার পর আর তো কিছু লাগে না!’ নির্বাচনের আগে মাশরাফি মাঠে নামলেই ‘নৌকা নৌকা’ স্লোগান উঠেছে গ্যালারিতে। সংসদ সদস্য হয়ে যাওয়ার পর নিশ্চয়ই মাঠে মাশরাফির ওপর চোখটা আরও বেশি থাকবে সবার। অনেকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে যাচাই করতে পারেন তাঁর পারফরম্যান্সও। মাশরাফিও সেটা জানেন। তবে তিনি এটাকে বলছেন ‘যার যার দৃষ্টিভঙ্গির ব্যাপার।’ তাঁর কথা. ‘কে কীভাবে ভাববে. সেটা তো আমি নিয়ন্ত্রণ করতে পারব না। আর এটা নতুন নয়. ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজেও ছিল। খেলোয়াড় হিসেবে আমার যা দায়িত্ব. মাঠে নেমে আমি তা-ই করার চেষ্টা করব।’ সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মুর্তজা প্রথম মাঠে নামবেন বিপিএলে। তবে বিপিএল ভাবনার মধ্যেই ওয়ানডে অধিনায়ককে মাথায় রাখতে হচ্ছে আসন্ন নিউজিল্যান্ড সফর ও বিশ্বকাপের কথা। মাশরাফি আগেই আভাস দিয়েছেন. বিশ্বকাপের পর ক্যারিয়ার নিয়ে নতুন করে ভাববেন। তাঁর কথার সূত্র ধরে ধারণা-হয়তো ইংল্যান্ড বিশ্বকাপের পরই বিদায় বলবেন ক্রিকেটকে। কিন্তু এ মুহূর্তে মাশরাফির মাথায় সেসব নেই। বিপিএলের পর জাতীয় দলের নিউজিল্যান্ড সফর। এরপর আয়ারল্যান্ড হয়ে বিশ্বকাপযাত্রা। ২০১৯ সালটাকে যে সবাই বাংলাদেশ দলের জন্য চ্যালেঞ্জের বছর বলছে. মাশরাফির চোখে সেটি নিউজিল্যান্ড সফর আর বিশ্বকাপের কারণেই. ‘ঘরের মাঠে এখন আমরা ৯০ ভাগ ক্ষেত্রে সফল হচ্ছি। আমাদের দলও আগের চেয়ে বেশি ভারসাম্যপূর্ণ। চ্যালেঞ্জ বেশি দেশের বাইরে। বিদেশের মাটিতে আমরা মাঝেমধ্যে সাফল্য পাই। ২০১৯ সালে সুযোগ আছে সেটাকে পরের ধাপে নিয়ে যাওয়ার।’ নিউজিল্যান্ডে বাংলাদেশের ভালো স্মৃতি না থাকলেও মাশরাফির চোখে সেটি আলাদা কিছু নয়. ‘বিদেশে গিয়ে যেখানেই খেলবেন. চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়তেই হবে। আর নিউজিল্যান্ডকে চ্যালেঞ্জ বললে বিশ্বকাপ কী? সেটা আরও বড় চ্যালেঞ্জ। বিশ্বকাপে আমাদের প্রাথমিক লক্ষ্য থাকবে সেমিফাইনালে খেলা। বড় লক্ষ্য স্থির না করলে আসলে কিছুই করা যায় না।’ সেটা তো মাশরাফি এবার রাজনীতির মাঠেও দেখালেন!
1,572,883
2019-01-02
ভোটের পর চাঙা শেয়ারবাজার
null
নিজস্ব প্রতিবেদক. ঢাকা
null
https://www.prothomalo.com/economy/article/1572881/%E0%A6%AD%E0%A7%8B%E0%A6%9F%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A6%B0-%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%99%E0%A6%BE-%E0%A6%B6%E0%A7%87%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%B0
economy
print
2
শেয়ারবাজার
নতুন বছরের প্রথম কার্যদিবসে শেয়ারবাজারে সূচকের বড় ধরনের উত্থান ঘটেছে। দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স এদিন ৮০ পয়েন্ট বা প্রায় দেড় শতাংশ বেড়েছে। অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচকটি ২৮২ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ৭১ শতাংশ বেড়েছে। সূচকে বড় ধরনের উত্থান হলেও লেনদেনে তার কোনো প্রভাব ছিল না। বাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন. ক্ষমতাসীন দল নির্বাচনে আবারও নিরঙ্কুশভাবে জয়লাভ করায় বিনিয়োগকারীরা কিছুটা আশাবাদী হয়ে উঠেছেন। এ কারণে নির্বাচনের আগে যেসব বিনিয়োগকারী নিষ্ক্রিয় ছিলেন. তাঁদের অনেকে সক্রিয় হতে শুরু করেছেন। তাতে বাজারে কিছুটা চাহিদা বেড়েছে। জানতে চাইলে ডিএসই ব্রোকারস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও ডিএসইর সাবেক পরিচালক শাকিল রিজভী বলেন. নির্বাচন ঘিরে দেশের সাধারণ মানুষসহ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে অস্থিতিশীলতার শঙ্কা তৈরি হয়েছিল। শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন সম্পন্ন হওয়ায় সেই শঙ্কা কেটে গেছে। এ ছাড়া সরকারের ধারাবাহিকতা রক্ষা হওয়ায় তাতে পুঁজিবাজারে বড় ধরনের পরিবর্তনের কোনো আশঙ্কা নেই। তাই নির্বাচনের আগে যেসব বিনিয়োগকারী নিষ্ক্রিয় হয়ে গিয়েছিলেন. তাঁরা আবারও সক্রিয় হতে শুরু করেছেন। পাশাপাশি বছর শেষে ব্যাংক খাতের ভালো মুনাফার খবরও বিনিয়োগকারীদের কিছুটা আস্থা ফেরাতে সহায়তা করেছে। সব মিলিয়ে তাই শেয়ারবাজারে বছরের প্রথম দিনের শুরুটা বেশ ভালোই হয়েছে। শাকিল রিজভী আশা প্রকাশ করেন. বড় ধরনের কোনো অনিশ্চয়তা দেখা না দিলে নতুন সরকার ও নতুন বছরের শুরুতে বাজার ভালো থাকবে। কারণ. বাজারের সূচক ও শেয়ারের দাম অনেক নিচে নেমে গেছে। বাজার যেখানে নেমেছে. সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর সময় ও সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। দেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী. ২০১৮ সালে ব্যাংক খাতে ভালো পরিচালন মুনাফা হয়েছে। বছরজুড়ে নানা সংকটের মধ্যেও ব্যাংকগুলোর আয় বেড়েছে। এ খবরে গতকাল শেয়ারবাজারে ব্যাংক খাতের শেয়ারের দামেও ছিল চাঙাভাব। এদিন ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩০টি ব্যাংকের মধ্যে ২৭টিরই দাম বেড়েছে। কমেছে মাত্র ২টির আর অপরিবর্তিত ছিল ১টির দাম। এদিকে. বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান সাংসদ নির্বাচিত হওয়ায় গতকাল শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বেক্সিমকোর সব কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। ঢাকার বাজারে তালিকাভুক্ত চার কোম্পানির শেয়ারের দাম গতকাল সর্বনিম্ন সাড়ে ৩ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। সবচেয়ে বেশি বেড়েছে শাইনপুকুর সিরামিকসের শেয়ারের দাম। এদিন কোম্পানিটির শেয়ারের দাম ১০ শতাংশ বা ১ টাকা ৪০ পয়সা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ টাকা ৪০ পয়সায়। এ ছাড়া বেক্সিমকো সিনথেটিকসের দাম সাড়ে ৯ শতাংশ বা ৭০ শতাংশ বেড়ে ৮ টাকা. বেক্সিমকো লিমিটেডের দাম সাড়ে ৮ শতাংশ বা ২ টাকা বেড়ে সাড়ে ২৫ টাকা আর বেক্সিমকো ফার্মার দাম ২ টাকা ৮০ পয়সা বা সাড়ে ৩ শতাংশ বেড়ে প্রায় ৮২ টাকায় দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে বেক্সিমকো লিমিটেড ডিএসইর মূল্যবৃদ্ধির শীর্ষ ৫ কোম্পানির মধ্যে তৃতীয় অবস্থানে ছিল। এদিন এককভাবে কোম্পানিটির ২৯ কোটি টাকার শেয়ারের হাতবদল হয়। ঢাকার বাজারে গতকাল দিন শেষে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৫৩০ কোটি টাকা. যা আগের দিনের চেয়ে ৮ কোটি টাকা কম। চট্টগ্রামের বাজারে এদিন লেনদেনের পরিমাণ ছিল ২৪ কোটি টাকা. যা আগের দিনের চেয়ে ১৭ কোটি টাকা কম। ঢাকার বাজারে গতকাল মূল্যবৃদ্ধির শীর্ষে ছিল বিবিএস কেবলস। এদিন ডিএসইতে এককভাবে কোম্পানিটির প্রায় ৩১ কোটি টাকার শেয়ারের হাতবদল হয়। দিন শেষে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম ৮ টাকা ৭০ পয়সা বা ৯ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০৫ টাকায়।
1,572,881
2019-01-02
বিয়ের দুদিন পর জানতে পারি...
পরামর্শ
null
null
https://www.prothomalo.com/life-style/article/1572882/%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%A0%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0-%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%A8-%E0%A6%AE-%E0%A6%A8
life-style
print
2
অধুনা|পরামর্শ
পাঠকের কাছ থেকে সন্তান পালন. মনোজগৎ ও ব্যক্তিজীবনের সমস্যা নিয়ে পাঠকের প্রশ্ন বিভাগে নানা রকমের প্রশ্ন এসেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এডুকেশন অ্যান্ড কাউন্সেলিং সাইকোলজি বিভাগের অধ্যাপক মেহতাব খানম নির্বাচিত দুটি প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন এবার। * আমি একটি মেয়েকে ভালোবাসি। আমাদের সম্পর্ক প্রায় তিন বছর হলেও ভালোবাসার মানুষকে যে কথা বলে মনের তৃপ্তি দিতে হয়. সে তা পারে না। আমরা প্রতিদিন মাত্র ১৫-২০ মিনিট কথা বলতে পারি। আর দেখা হচ্ছে না প্রায় আট–নয় মাস। কিছুদিন ধরে আমার মনে হচ্ছে. সে আমাকে ভালোবাসে না। এই অবস্থায় আমার কী করা উচিত?নাম ও ঠিকানা প্রকাশে অনিচ্ছুক # তোমাদের সম্পর্কটি তিন বছর ধরে চলছে এবং প্রতিদিন তোমরা কিছু সময় কথা বলছ জেনে মনে হচ্ছে. সম্পর্কটির মধ্যে ইতিবাচক দিক নিশ্চয়ই রয়েছে। তবে ফোন করার ক্ষেত্রে কার আগ্রহ বেশি রয়েছে. সীমিত সময় কথা বলার বা দেখা না হওয়ার পেছনে কারণগুলো কী. তা জানতে পারিনি। মেয়েটি কি তোমার সঙ্গে এখন আর দেখা করতে চাইছে না? তুমি লিখেছ. তার কথার ধরন তোমাকে তৃপ্ত করছে না। তুমি কি তার সঙ্গে সহমর্মিতা দেখাচ্ছ? ওর মনকে স্পর্শ করে এমন কিছু কথা বলছ. নাকি সম্পর্কের অবনতির জন্য ওকেই দায়ী করছ। একটি সম্পর্কে তো দুটো মানুষকেই একইভাবে অবদান রাখতে হয়। পরস্পরের খুব ভালো বন্ধুও হতে হয়। ওর দিক থেকে যদি আবেগের প্রকাশ কমে গিয়ে থাকে. তাহলে তুমি তাকে সরাসরি জিজ্ঞেস করতে পারো. সে এই সম্পর্কটি এখন কীভাবে দেখছে। ওকে কোনো রকম দোষারোপ না করে তুমি যা ভাবছ এবং অনুভব করছ. তা ওকে বুঝতে সাহায্য করো। দেখা করে তোমরা খোলাখুলি আলোচনা করে দুজনেই বুঝতে চেষ্টা করো একজন অন্যজনকে আগের মতোই ভালোবাসছ কি না বা সম্পর্কের গুণগত মানটিতে কোনো পরিবর্তন এসেছে বলে মনে হচ্ছে কি না। সেটি হয়ে থাকলে তোমাদের কী করণীয়. তা নিয়ে খুব সততা ও বস্তুনিষ্ঠভাবে দুজনেই নিজস্ব মতামত প্রকাশ করে ভবিষ্যৎ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার চেষ্টা করো।*আমি আসলে মানসিক দিক দিয়ে খুব কষ্টে আছি। আমার বিয়ে হয়েছে আজ থেকে ৯ বছর আগে। আমার স্বামী আর আমি দুজনেই সরকারি চাকরিজীবী। আমার এক ছেলে আর এক মেয়ে। সমস্যা হলো বিয়ের দুদিন পর জানতে পারি. আমার স্বামীর সঙ্গে আমার বিয়ের আগে অনেক বছর ধরে একটি ভিন্নধর্মালম্বী মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক চলছে। সেই মহিলা বিবাহিত আর তাঁর দুই বাচ্চা। আমার বিয়ের পরও ওদের সম্পর্কটা ওরা চালিয়ে গেছে। এই নিয়ে দুজনের মধ্যে খুব অশান্তি হতো। সম্প্রতি আমি মহিলার সঙ্গে কথা বলেছি এবং তিনি সব স্বীকার করেছেন। কিন্তু আমার স্বামীকে আমি এখন বিশ্বাস করতে পারছি না। কারণ. আমি ওর মোবাইলে দেখেছি. এখনো দুজনের মধ্যে প্রতিদিন কথা হয়। যার কারণে আমার স্বামী ঘরে আমার ওপর খুব মানসিক অত্যাচার চালাচ্ছে। বলে রাখি. বিয়ের অনেক আগে এক ছেলের সঙ্গে আমার সম্পর্ক ছিল। ছেলেটা আমাকে খুব ভালোবাসত। আমার পরিবার ওকে মেনে নেয়নি। যার কারণে আমিও আর এগোইনি। এখন আমার স্বামী আমার এক আত্মীয়ের কাছ থেকে ব্যাপারটা জেনে গেছে। কিন্তু আপনারা বিশ্বাস করুন. এখন ওই ছেলের সঙ্গে আমার আর কোনো সম্পর্ক নেই। তবু এটা আমার স্বামী বিশ্বাস করতে চাইছে না। ওই ছেলেটা বিয়ে করে সংসারী হয়েছে। কিন্তু তবু আমার স্বামী ওকে নিয়ে আমাকে সন্দেহ করে চলেছে। এই নিয়ে সব সময় খুব মানসিক চাপে থাকি। এখন আমার মা–বাবা আমার বাড়িতে বেড়াতে এসেছে। ওদের সামনে ও আমাকে যা নয় তাই বলে অকথ্য ভাষা ব্যবহার করছে। ফলে তাঁরা খুব হীনম্মন্যতায় ভুগছেন।নাম ও ঠিকানা প্রকাশে অনিচ্ছুক # মানুষ অনেক স্বপ্ন নিয়ে বিবাহিত জীবনটি শুরু করে। বিয়ের মাত্র দুদিনের মাথায় তুমি অনেক বড় একটি ধাক্কা খেলে। একটি সম্পর্কে বিশ্বাস হচ্ছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি স্তম্ভ। অথচ সেটি ভেঙে গুঁড়িয়ে গেল যখন জানতে পারলে. তুমি প্রতারিত হয়েছ। বিয়ের আগে অনেকেই ভালোবাসার সম্পর্কে থাকে. কিন্তু বিয়ের পরও সম্পর্কটি চালিয়ে যাওয়া বা নতুন কোনো সম্পর্কে জড়ানো অনৈতিক ও অগ্রহণযোগ্য। তুমি প্রতারণা. অবিশ্বাস. অবহেলা. অশ্রদ্ধা ও মানসিক নির্যাতনের মধ্যে দীর্ঘ নয় বছর এই সম্পর্কটি যে কারণে চালিয়ে গেছ. তার একটি ব্যাখ্যা হয়তো তোমার কাছে আছে। তবে এত বড় একটি সময় এটির ভেতরে থাকা খুবই ক্লান্তিকর ও অবসাদময় হওয়ার কথা। তুমি স্বামীকে হয়তো ভালোবাস বলে আশায় বুক বেঁধে দুটো সন্তানকেও পৃথিবীতে নিয়ে এসেছ। তবে ওরা কিন্তু বাবা-মায়ের মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের বহিঃপ্রকাশ দেখে বড় হচ্ছে না। উপরন্তু তারা একটি চলমান সংঘাতময় সম্পর্ক দেখতে পাচ্ছে। এতে করে ওদের মনে প্রবল ভীতির সৃষ্টি হচ্ছে. যেটির প্রভাব তাদের ব্যক্তিত্বের বিকাশকে অত্যন্তÿক্ষতিগ্রস্ত করার কথা। তুমি তো অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী এবং শিক্ষিত একটি মানুষ. তারপরও কী ভেবে নিজেকে এই অবমাননাকর পরিস্থিতিতে খাপ খাইয়ে চলেছ. তা খুব ভালো করে ভেবে দেখো। তোমার স্বামী কি নিজের অপরাধবোধ কমাবার জন্য তোমাকে একটি বিবাহপূর্ব সম্পর্ক নিয়ে নির্যাতন করছেন কি না জানি না। ব্যাপারটি নিয়ে তাঁকে আর কোনো ব্যাখ্যা দিয়ে নিজের ক্লান্তি বাড়তে দিয়ো না। নিজেকে আন্তরিকভাবে ভালোবেসে. শ্রদ্ধা করে এবং পরিপূর্ণভাবে নিজের যত্ন নিয়ে পথ চলতে চেষ্টা করো। পাশের মানুষটি তোমার আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করবে. সেই ক্ষমতাটি তাঁকে না দিয়ে তুমিই নিজের আবেগের নিয়ন্ত্রক হওয়ার চেষ্টা করো। অর্থাৎ কিসে তুমি কষ্ট পাবে বা খুশি হবে. সেই সিদ্ধান্ত যেন তোমারই হয়. সেই লক্ষ্যে মানসিক শক্তিটি বাড়াতে থাকো। আশা রাখছি নিজের কোনো ক্ষতি করবে না। কারণ. তোমার জীবন অনেক মূল্যবান। যদি খুব বেশি কষ্ট হয়. তাহলে ০৯৬১২২২২৩৩৩ এই টেলিসেবা নম্বরটিতে ফোন করে কাউন্সেলিং সেবা নিজে পারো। যেসব সংস্থায় কাউন্সেলিং ও সাইকোথেরাপির সুযোগ আছে. সেসব জায়গায় গিয়ে তুমি কীভাবে মানসিকভাবে ভালো থাকতে পারো. সেটির জন্য সরাসরি সেবা গ্রহণ করতে পারো।
1,572,882
2019-01-02
স্তনে ব্যথা মানেই ক্যানসার নয়
null
ডা. রাফিয়া আলম
https://www.prothomalo.com/life-style/article/1572880/%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%A8%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%A5%E0%A6%BE-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%87-%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%A8%E0%A7%9F
life-style
print
2
স্বাস্থ্য|আমার ডাক্তার
স্তনে চিনচিন ব্যথা. অস্বস্তি নানা কারণে হতে পারে। হরমোনের ওঠা–নামার কারণে স্তনে যে ব্যথা হয়. তা স্বাভাবিক ব্যাপার। মাসিকের কয়েক দিন আগে থেকে শুরু হয়ে শেষ হওয়া পর্যন্ত এই চিনচিন ব্যথা হতে পারে। কৈশোরে স্তন গ্রন্থির বৃদ্ধির সময় এবং একই কারণে গর্ভধারণের প্রথম তিন মাস ব্যথা হতে পারে। তবে আঘাত. প্রদাহ বা সংক্রমণ হওয়াও অস্বাভাবিক নয়। স্তন্যদায়ী মায়ের প্রায়ই স্তনে প্রদাহ হতে দেখা যায়। শিশুকে সঠিক নিয়মে স্তন্যপান না করানো ও পরিচ্ছন্নতা বজায় না রাখা এর প্রধান কারণ। এমনকি স্তনে জীবাণুর সংক্রমণ হওয়াও বিচিত্র নয়। জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি এবং অন্যান্য কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াতেও স্তনব্যথা হয়। স্তনে ব্যথা মানেই কি ক্যানসার? জেনে রাখুন. সাধারণত স্তনব্যথা স্তন ক্যানসারের লক্ষণ নয়। তবে যেকোনো একপাশের স্তনের নির্দিষ্ট একটি স্থানে ব্যথা. যা মাসিকের সঙ্গে সম্পর্কিত নয় এবং এর সঙ্গে গোটা বা চাকা অনুভব করা. স্তনবৃন্ত থেকে রক্তপাত কিংবা বগলে গোটা অনুভব করলেই কেবল আতঙ্কিত হওয়ার কিছু আছে। সিস্ট আর ক্যানসার এক নয়স্তনে সিস্ট থাকলেও একটা চিনচিনে ব্যথা হতে পারে। মনে রাখবেন. সিস্ট মানেই ক্যানসার নয়। অল্প বয়সে অনেকেরই স্তনে সিস্ট হয়। সন্দেহ দূর করতে চিকিৎসকের পরামর্শমতো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করিয়ে নিলে ভালো। স্বাভাবিক ব্যথা কেমনমাসিকের আগে ও মাসিকের সময় যে হরমোনজনিত ব্যথা হয়. তা দুই স্তনেই অনুভূত হয়. চাপ চাপ ব্যথার সঙ্গে স্তন ভারী মনে হয়। দুই দিকের বগলেও ব্যথা হতে পারে। মাসিকের দুই সপ্তাহ আগে থেকেও শুরু হতে পারে. আর মাসিক শুরু হলে ব্যথার তীব্রতা কমে আসে. শেষ হয়ে গেলে ব্যথা থেমে যায়। এ ব্যথায় ভয় পাওয়ার কিছু নেই। তবে স্তনে সংক্রমণ বা প্রদাহ হলে ওপরের ত্বক লালচে দেখাবে. স্পর্শ করলেই ব্যথা করবে। অনেক সময় স্তনে পুঁজ জমা হয় বা ফোড়া হয়। দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। পুঁজ জমা হলে শল্যচিকিৎসক তা বের করে দেওয়ার ব্যবস্থা করবেন। সংক্রমণ হয়েছে ভেবে নিজে থেকে অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করবেন না। পুঁজ বের করার আগে অ্যান্টিবায়োটিক শুরু করলে জটিলতা বাড়তে পারে। ব্যথা কমাতে কী করবেনমাসিক–সংক্রান্ত সাধারণ স্তনব্যথার ক্ষেত্রে হালকা গরম সেঁক বা কাপড়ে বরফ পেঁচিয়ে সেঁক দিতে পারেন। আঁটসাঁট ব্রাসিয়ার পরুন. শোয়ার সময়ও পরতে পারেন এক দিন। চর্বি. চা-কফি ও ধূমপান এড়িয়ে চলুন। প্যারাসিটামল সেবন করতে পারেন।
1,572,880
2019-01-02
সুবর্ণচরে নারী ধর্ষণের ঘটনায় মামলা. গ্রেপ্তার ১
null
নিজস্ব প্রতিবেদক. নোয়াখালী
১৬
https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1572878/%E0%A6%B8%E0%A7%81%E0%A6%AC%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A3%E0%A6%9A%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%A7%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%A3%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%98%E0%A6%9F%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%B2%E0%A6%BE-%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A7%A7
bangladesh
print
2
নোয়াখালী|ধর্ষণ|আইন ও বিচার|নারী নির্যাতন
নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার চরজুবলী ইউনিয়নের এক গ্রামে স্বামী-সন্তানকে বেঁধে রেখে এক নারীকে মারধর ও গণধর্ষণের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। নির্যাতনের শিকার নারীর স্বামী গত সোমবার রাতে সুবর্ণচরের চরজব্বার থানায় এ মামলা করেন। তবে তাঁরা আগে ভোট দেওয়া নিয়ে ঝামেলার কথা জানালেও মামলায় তা উল্লেখ নেই। মামলায় বলা হয়েছে ‘পূর্ববিরোধের’ কথা। চরজব্বার থানার ওসি নিজাম উদ্দিন জানিয়েছেন. একই এলাকার মোশারফ. সালাউদ্দিন. বাদশা আলম ওরফে কুড়াইল্যা বাসু ও সোহেলসহ নয়জন মামলার আসামি। মামলার পর রাতেই আসামি বাদশা আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। আসামি ঘটনার বিষয়ে কিছু স্বীকার করেননি। আদালতের কাছে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন জানানো হয়েছে। ওই নারীর স্বামী প্রথম আলোকে বলেন. সোমবার রাতে পুলিশ তাঁকে মামলা করার জন্য হাসপাতাল থেকে গাড়িতে করে থানায় নিয়ে যায়। তিনি সেখানে গিয়ে ঘটনার বর্ণনা দেন। পুলিশ তাঁর বর্ণনা অনুযায়ী এজাহার লিখে আসামিদের নাম ঠিক আছে কি না জিজ্ঞেস করলে তিনি তাতে সম্মতি দেন। পুলিশ তাঁকে পুরো এজাহার পড়ে শোনায়নি। তিনিও পড়ালেখা না জানায় এজাহার পড়ে দেখতে পারেননি। এজাহারে ভোটকেন্দ্রে ভোট দেওয়া নিয়ে ঝামেলার বিষয়টি বাদ পড়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ওসি বলেন. বাদী যা যা বর্ণনা করেছেন. তা-ই উল্লেখ করা হয়েছে। এখন যদি তিনি কিছু বাদ গেছে বলে দাবি করেন. তদন্তে সেটিও খতিয়ে দেখা হবে। নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক খলিল উল্যাহ প্রথম আলোকে বলেন. চিকিৎসাধীন নারীর শরীরের বিভিন্ন স্থানে নির্যাতনের চিহ্ন আছে। তবে ডাক্তারি পরীক্ষার ফল বুধবার (আজ) নাগাদ পাওয়া গেলে ধর্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে। নির্যাতনের শিকার নারী বলেন. ঘটনার সঙ্গে জড়িতরা সবাই একই এলাকার চরজুবলী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য রুহুল আমিনের লোক। তাঁরা সবাই নির্বাচনে নৌকার পক্ষে কাজ করেছেন। ভোটের দিন আসামিরা তাঁকে তাঁদের পছন্দের প্রতীকে ভোট দিতে বলেন। তিনি তাতে রাজি না হলে এ নিয়ে তর্কাতর্কির একপর্যায়ে যুবকেরা তাঁকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন। এরপর ওই দিন রাতে বাড়িতে গিয়ে তাঁরা মারধর ও ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ করেন তিনি। তথ্যানুসন্ধান কমিটি গঠন এ ঘটনায় তিন সদস্যের তথ্যানুসন্ধান কমিটি গঠন করেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। গতকাল সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এ ঘটনার নিন্দা ও জড়িত ব্যক্তিদের যথাযথ শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ. হিউম্যান রাইটস ফোরাম বাংলাদেশ. বাংলাদেশ নারী মুক্তি কেন্দ্র ও দেশের মালিকানা ফিরে পেতে সংগ্রামরত জনগণ।
1,572,878
2019-01-02
৩০ দিনে ৩ কেজি ওজন কমান
ডায়েট
ইসরাত জাহান
null
https://www.prothomalo.com/life-style/article/1572879/%E0%A7%A9%E0%A7%A6-%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A7%87-%E0%A7%A9-%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%9C%E0%A6%BF-%E0%A6%93%E0%A6%9C%E0%A6%A8-%E0%A6%95%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8
life-style
print
2
অধুনা|পরামর্শ
দুই দিন হলো নতুন বছর শুরু হয়েছে। গত বছর যা করতে পারেননি. তা এ বছর করতে নতুন পরিকল্পনা হাতে নিতে পারেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী জীবনযাপন করলে সারা বছর ভালো থাকা যায়। বছরের প্রথম ৩০ দিনে ৩ কেজি ওজন কমানো পরিকল্পনা হাতে নিন। ছেলে-মেয়েদের ডায়েটের জন্য পরিকল্পনা আলাদা হবে। একজন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ ২ হাজার থেকে ২ হাজার ২০০ কিলোক্যালরি এবং নারীদের ১ হাজার ৬০০ থেকে ১ হাজার ৮০০ কিলোক্যালরি দরকার। শীতের সময় আমাদের দেশে অনেক শাকসবজি পাওয়া যায়। শীতের মৌসুমি সবজি শাক খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে।সুস্থ থাকার জন্য আমাদের শরীরে অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট দরকার। শর্করা. প্রোটিন এবং চর্বি প্রতিদিনই খাই। শীতের সময়ে সবুজ শাকসবজি. ফলমূল খেতে হবে।প্রতিদিন একটি করে ডিম খাওয়া উচিত। ডিমের অ্যালবুমিনের কোনো বিকল্প নেই। মাছের বদলে মুরগি খেতে পারেন বা অন্য প্রায় সব খাদ্য উপকরণের বিকল্প আছে। কিন্তু ডিমের অ্যালবুমিনের কোনো বিকল্প নেই। এ উপকরণটি শরীরের জন্য খুবই দরকারি। অ্যালবুমিন কমে গেলে অনেক সময় শরীরে পানি চলে আসে. রক্তশূন্যতা তৈরি হয়।মাছ বা মাংস থেকে একটি অংশ. দুধ থেকে একটি উপকরণ খেতে হবে। অনেকে দুধ খেতে চান না। মনে করেন দুধে ফ্যাট আছে। তাই ননফ্যাট দুধও খেতে পারেন। ৩০ দিনে ৩ কেজি ওজন কমাতে চাইলে কার্বোহাইড্রেট ১০ শতাংশ কমাতে হবে। ফ্যাটযুক্ত দুধের উপকরণ না খেতে চাইলে রাতের খাবারে টকদই নিতে পারেন। টকদইতে একই সঙ্গে প্রোটিন এবং ক্যালসিয়াম রয়েছে। টকদই আমাদের হজমে সাহায্য করে। অনেকে অফিসে কাজ করার ফলে বাইরে ও অনিয়মিত খাবার খান। এর ফলে তাঁদের হজমে সমস্যা হয়। এ ধরনের মানুষ রাতে টকদই খেলে ভালো উপকারিতা পাবেন। এক কাপ টকদই তাঁর সারা দিনের খাওয়া উপকরণগুলো হজম হতে সাহায্য করে। ব্যায়ামসকালে ব্যায়াম করা বা হাঁটা সবচেয়ে ভালো। তবে যদি কেউ সকালে সময় করতে না পারেন. তাহলে অফিস বা কাজ থেকে ফেরার পরে সিঁড়ি দিয়ে (পাঁচতলা পরিমাণ) টানা তিনবার ওঠানামা করে তাতেও কিন্তু অনেক উপকার পাওয়া যায়। মনের ইচ্ছের বিরুদ্ধে জিম করা উচিত নয়। সিঁড়িতে হাঁটতে পারেন। হাঁটতে হলে কমপক্ষে টানা ৩০ মিনিট একই গতিতে হাঁটতে হবে। তাহলে ভালো উপকার পাওয়া যাবে।
1,572,879
2019-01-02
শোধ নিয়েছেন শেখ হাসিনা
রাজনীতি
মহিউদ্দিন আহমদ
২৮২
https://www.prothomalo.com/opinion/article/1572877/%E0%A6%B6%E0%A7%8B%E0%A6%A7-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A7%87%E0%A6%9B%E0%A7%87%E0%A6%A8-%E0%A6%B6%E0%A7%87%E0%A6%96-%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A6%BE
opinion
print
2
নির্বাচন|মহিউদ্দিন আহমদ|রাজনীতি|একাদশ সংসদ নির্বাচন
১৯৭৩ সাল থেকে শুরু করে এ দেশে দলীয় সরকারের অধীনে যতগুলো নির্বাচন হয়েছে. তার সব কটিতেই জয় পেয়েছে ক্ষমতাসীনেরা। অন্যদিকে. নির্দলীয় সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনগুলোতে পরপর দুই মেয়াদে কোনো দল ক্ষমতায় যেতে পারেনি। একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের আকাঙ্ক্ষা থেকেই নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি তোলা হয়েছিল একসময়। এই দাবি নিয়ে আন্দোলনের সামনের কাতারে ছিল আওয়ামী লীগ। আবার আওয়ামী লীগের হাত দিয়েই বাতিল হলো তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা। রাজনীতিতে পাল্টাপাল্টি অবস্থান সমাজে তৈরি করে দিয়েছে বিভেদের এক অলঙ্ঘনীয় দেয়াল। ১৯৮০-এর দশকে সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এ দেশে গড়ে উঠেছিল দ্বিদলীয় রাজনীতি। ১৯৯১ সালের নির্বাচন থেকেই এর স্বরূপ দিন দিন প্রকট হচ্ছিল। ২০১৮ সালের নির্বাচনের মধ্য দিয়ে দ্বিদলীয় রাজনীতির মেরুদণ্ডটি আপাতদৃষ্টিতে ভেঙে পড়ল। এ নিয়ে আগামী দিনে অনেক কথাবার্তা এবং গবেষণা হবে। বলার অপেক্ষা রাখে না. ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর গবেষণা করা সহজ। ঘটনা ঘটার আগে পূর্বাভাস দেওয়া কঠিন। ক্রিকেট থেকে শুরু করে রাজনীতি—সব জায়গায় একই রকম। গত চার দশকে এ দেশে আমরা শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়া—এই দুজন নেতার উত্থান দেখেছি রূপকথার মতো। রাজনীতির স্বাভাবিক ব্যাকরণ অনুযায়ী এমনটি হওয়ার কথা ছিল না। বিশেষ পরিস্থিতিতে নেতৃত্বের সংকট ও শূন্যতা তৈরি হওয়ায় নিয়তি তাঁদের টেনে এনেছিল রাজনীতির পিচ্ছিল পথে। তারপর হাঁটি হাঁটি পা পা করে তাঁরা নিজেদের জায়গা তৈরি করে নিয়েছিলেন. প্রতিষ্ঠা করেছিলেন একচ্ছত্র কর্তৃত্ব। দুজনের উত্থানের পেছনেই আছে বিয়োগান্ত ইতিহাস। তারপরও তাঁদের মধ্যে কোনো সহজ সমীকরণ তৈরি হয়নি। রাজনীতিতে তাঁরা ছিলেন পরস্পরের প্রধান প্রতিপক্ষ—এটি বললে কম বলা হবে। এখন তো কষ্ট করে খুঁজে দেখতে হবে. তাঁরা কবে শেষবারের মতো কথা বলেছিলেন। ইতিহাসে এ ধরনের দ্বৈরথ খুব বেশি দেখা যায় না। তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করা নিয়ে দুজনই অনড় অবস্থানে চলে গিয়েছিলেন। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন তখন দরজায় কড়া নাড়ছে। ২৬ অক্টোবর ২০১৩ বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিরোধী দলের নেতা খালেদা জিয়াকে ফোন করে ২৮ তারিখ গণভবনে আসার জন্য দাওয়াত দেন। উদ্দেশ্য. একসঙ্গে বসে কথাবার্তা বলা ও রাতের খাবার খাওয়া। ওই সময় বিএনপির নেতৃত্বে ১৮-দলীয় জোটের তিন দিনব্যাপী হরতাল শুরু হয়ে গেছে। তাঁদের ৩৭ মিনিটের টেলিফোন সংলাপের শেষ অংশটি ছিল এ রকম: খালেদা: আপনি বলেন যে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন করতে আপনি রাজি আছেন। তাহলে আমি কালকেই উইথড্র করে দেব।...বসে ঠিক করব. কালকে উইথড্র হবে। আমরা কালকেই আপনার সঙ্গে আলোচনায় বসব। কোনো অসুবিধা নাই। হাসিনা: আপনি সর্বদলীয়টা মেনে নেন। খালেদা: সর্বদলীয়টা মানা যায় না। হাসিনা: কালকে আসেন. সবকিছুর সমাধান হয়ে যাবে। খালেদা: হরতাল প্রত্যাহার হবে না। ২৯ তারিখ ডেট দেন। আমরা আলোচনায় যাব। হাসিনা: আমি আপনাকে দাওয়াত দিচ্ছি. আপনি আসুন। খালেদা: না. আমি যেতে পারব না। হরতালের মধ্যে আমি কোথাও যাই না (সূত্র: মহিউদ্দিন আহমদ. বিএনপি: সময়-অসময়. প্রথমা প্রকাশন)। উল্লেখ্য. প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাবে সংসদে ফাঁকা দলগুলোর প্রতিনিধিদের নিয়ে নির্বাচনকালীন সরকারের কথা বলা হয়েছিল। বিএনপি ওই প্রস্তাব গ্রহণ করেনি। খালেদা জিয়া নিজের শক্তি সম্বন্ধে অতিমাত্রায় আস্থাশীল ছিলেন এবং শেখ হাসিনার শক্তিকে খাটো করে দেখেছিলেন। প্রকৃতপক্ষে খালেদা ওই দিনই হেরে গিয়েছিলেন। প্রচণ্ড চাপ সত্ত্বেও ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে নির্বাচনটি করিয়ে নিয়ে হাসিনা বাজির দরে জিতে যান। গত পাঁচ বছরে তিনি ক্রমাগত প্রমাণ করে গেছেন. তিনি একজন দক্ষ স্ট্রাইকার বা হার্ডহিটিং ব্যাটার। তিনি একজন ‘মাস্টার পলিটিশিয়ান’। রাজনীতির লড়াইয়ে তিনি আজ জয়ী। অন্যদিকে খালেদার চলছে অগস্ত্যযাত্রা। এটি একটি রূঢ় বাস্তবতা। বাংলাদেশের গত পাঁচ দশকের ইতিহাসে দুটো বড় ঘটনা ঘটে গেছে. যার তাৎপর্য ছিল সুদূরপ্রসারী। একটি হলো ১৫ আগস্ট ১৯৭৫. অন্যটি হলো ২১ আগস্ট. ২০০৪। দুটোর মধ্যে অদ্ভুত মিল আছে। একদা এ দেশে পিকিংপন্থীদের কয়েকটি গ্রুপ শুরু করেছিল ‘খতম’-এর রাজনীতি। ওগুলো ঘটেছিল বিপ্লবের নামে বিচ্ছিন্নভাবে। সমাজে তা আতঙ্ক ছড়ালেও প্রবল কোনো ঢেউ তুলতে পারেনি। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে নির্মূল করার বড় উদাহরণটি হলো ১৫ আগস্ট। তখনো বিএনপির জন্ম হয়নি। কিন্তু পরে খুনিদের সুরক্ষা দেওয়ার লক্ষ্যে জারি হওয়া ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ সংসদে পাস করিয়ে নিয়ে বিএনপি পঁচাত্তরের হত্যাকাণ্ডের দায়ভার নিজেদের কাঁধে নিয়ে নিয়েছিল। জেনারেল জিয়াউর রহমানের লিগেসি থেকে তাঁর উত্তরসূরি খালেদা জিয়া বেরিয়ে আসার সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু তিনি তা কাজে লাগাননি। ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়ে সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ ১১ নভেম্বর (১৯৯৬) সংসদের আলোচ্যসূচিতে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিলের প্রস্তাব রেখেছিল। স্পিকারের ‘পক্ষপাতমূলক’ আচরণের তুচ্ছ অজুহাত তুলে বিএনপির সদস্যরা সেদিন সংসদ থেকে ওয়াক আউট করে বুঝিয়ে দিতে চেয়েছিলেন. তাঁরা এ আইনটির বাতিল চান না। এর অর্থ দাঁড়ায়. ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের বিচার করা যাবে না. এ অবস্থানটি বিএনপি বজায় রেখেছিল। ২১ আগস্ট. ২০০৪ আওয়ামী লীগের সমাবেশে বোমা ও গ্রেনেড হামলা হয়েছিল। এ ঘটনায় ২৪ জন নিহত হলেও শেখ হাসিনা অলৌকিকভাবে বেঁচে যান। বিএনপি সরকার এর সুষ্ঠু তদন্তের ব্যবস্থা না করে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা চালায়। তৈরি হয় ‘জজ মিয়া নাটক’। ২০০৬ সালের ২১ আগস্ট প্রথম আলো জজ মিয়ার মা জোবেদা খাতুনের সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে এই ভুয়া মামলার বিষয়টি ফাঁস করে দেয়। প্রকৃত অপরাধীদের আড়াল করে. ইচ্ছে করে এই নাটক সাজানোর মধ্য দিয়ে বিএনপি সরকার আবারও নিজেদের কাঁধে হাসিনা-নির্মূল ষড়যন্ত্রের দায়ভার নিয়ে নেয়। এসব কিছু মেনে নিয়ে ‘রিকনসাইল’ করার মতো অবস্থানে থাকার কথা নয় শেখ হাসিনার। প্রতিশোধটি তিনি নিলেন রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে। তিনি এক এক করে হাত বাড়ালেন সম্ভাব্য শত্রুদের দিকে। তাঁদের জোটসঙ্গী করলেন। চরম সমালোচনা সত্ত্বেও হেফাজতে ইসলামের মতো একটি উগ্র ধর্মান্ধ গোষ্ঠীকে কৌশলে নির্বিষ করতে সক্ষম হলেন। জাতীয় পার্টিকে নিয়ে রীতিমতো ডাংগুলি খেললেন। আর মূল প্রতিপক্ষ বিএনপিকে ক্রমাগত বিচ্ছিন্ন ও কোণঠাসা করতে লাগলেন। ২০১৮ সালের নির্বাচনে দেখা গেল. বিএনপির ওপর দিয়ে একটি সুনামি বয়ে গেল। গ্রেনেড ছুড়তে হলো না. কামান দাগানোর দরকার পড়ল না। ভোটের লড়াইয়ে বিএনপি নকআউট হয়ে গেল। ২০১৮ সালের নির্বাচনে সূক্ষ্ম না স্থূল কারচুপি হয়েছে. এ নিয়ে জন–আলোচনা চলছে. চলবে। বাস্তবতা হলো. বিএনপি রাজনৈতিক দল হিসেবে একেবারেই খাদের কিনারায় চলে গেছে। এটি আর আগের মতো উঠে দাঁড়াতে পারবে না। তবে আওয়ামী বৃত্তের বাইরে একটি উদার গণতান্ত্রিক দলের চাহিদা সমাজে থেকেই যাবে। তবে তা গড়ে উঠতে সময় লাগবে। শেখ হাসিনা রাজনৈতিকভাবে শোধ নিয়েছেন! বলা যায়. মধুর প্রতিশোধ। মহিউদ্দিন আহমদ: লেখক ও গবেষকmohi 2005 @gmail. com আরও পড়ুন:আগামী সপ্তাহে নতুন সরকারপ্রার্থীদের থেকে কারচুপির তথ্য নেবে বিএনপি
1,572,877
2019-01-02
নারায়ণগঞ্জে সড়ক দখল
ট্রাফিক পুলিশকে দায়িত্ব পালন করতে হবে
null
null
https://www.prothomalo.com/opinion/article/1572874/%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A7%9F%E0%A6%A3%E0%A6%97%E0%A6%9E%E0%A7%8D%E0%A6%9C%E0%A7%87-%E0%A6%B8%E0%A7%9C%E0%A6%95-%E0%A6%A6%E0%A6%96%E0%A6%B2
opinion
print
2
সম্পাদকীয়:
সড়ক হচ্ছে যানবাহন চলাচলের জন্য আর ফুটপাত হচ্ছে পথচারীদের পায়ে হেঁটে চলার জন্য। কিন্তু নারায়ণগঞ্জ নগরের খানপুর ইশা খাঁ সড়ক ও নবাব সিরাজউদ্দৌলা সড়কের অবস্থার যে চিত্র প্রথম আলোতে প্রকাশিত হয়েছে. তাতে তা মনে হচ্ছে না। মঙ্গলবার প্রথম আলোয় প্রকাশিত খবর অনুযায়ী. নারায়ণগঞ্জ নগরের খানপুর কুমুদিনী ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট-সংলগ্ন ঈশা খাঁ সড়ক ও ফুটপাত দখল করে সেখানে বিভিন্ন অচল যানবাহন ফেলে রাখা হয়েছে। এ ছাড়া গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কের দুই-তিন সারিতে বিভিন্ন গণপরিবহনের গাড়ি পার্কিং করে রাখা হচ্ছে। এতে সড়কটি সংকীর্ণ হয়ে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। ফলে ভোগান্তিতে পড়ছে এই পথে চলাচলকারীরা। এ ছাড়া নবাব সিরাজউদ্দৌলা সড়কের মেট্রো সিনেমা হলের মোড়সংলগ্ন সড়কেও অচল প্রাইভেট কার. টেম্পোসহ বিভিন্ন যানবাহন ফেলে রাখা হয়েছে। সড়কের পাশে চায়ের দোকান. বাসের কাউন্টার থাকায় এর অর্ধেক অংশ ও ফুটপাত দখল হয়ে গেছে। একটি নগরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কের এই বেহাল চিত্র কোনোভাবেই কাম্য নয়। প্রশ্ন হচ্ছে. এসব দেখার কি কেউ নেই? মোটরযান আইন অনুযায়ী. রাস্তায় গাড়ি আইন মেনে চলছে কি না বা পার্কিং করা হচ্ছে কি না. তা দেখার দায়িত্ব পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের। আইনে ট্রাফিক পুলিশকে লাইসেন্সসহ কাগজপত্র যাচাই এবং সড়কের শৃঙ্খলা রক্ষায় ব্যবস্থা গ্রহণের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। লঙ্ঘনকারীর বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া এবং জরিমানা করার মতো আইনি ব্যবস্থা নিতে পারে তারা। নারায়ণগঞ্জের এ দুটি সড়কের ক্ষেত্রে যে ট্রাফিক পুলিশ তাদের দায়িত্ব পালন করছে না. তা তো বোঝাই যাচ্ছে। ট্রাফিক পুলিশের কর্তব্যের প্রতি এই অবহেলা গ্রহণযোগ্য নয়। ট্রাফিক পুলিশকে অবশ্যই এ দুটি সড়কের শৃঙ্খলা ফেরাতে হবে। যারা আইন অমান্য করে ফুটপাত ও সড়ক দখল করে রেখেছে. তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। ফুটপাত দখলমুক্ত করে পথচারীদের চলার উপযোগী করতে হবে। সড়কে যাতে অবৈধভাবে কেউ যানবাহন পার্কিং করতে না পারে. সে জন্য আইনের প্রয়োগ করতে হবে। শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কে গাড়ি পার্কিংয়ের বিষয়ে বিশেষ নজরদারি প্রয়োজন প্রশাসনের। সড়ক বা মহাসড়কে যারা নিয়ম না মেনে ইচ্ছেমতো গাড়ি পার্কিং করছে. তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে। নারায়ণগঞ্জ শহরে অনেক বিপণিকেন্দ্র গড়ে উঠলেও নেই গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা। তাই গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য স্থান নির্ধারণ করে দিতে হবে। অকেজো গাড়ি রাখার জন্য ডাম্পিং স্টেশন তৈরি করতে হবে। পাশাপাশি নাগরিকদেরও সড়কে চলাচলে সচেতন হতে হবে। ব্যক্তিগত স্বার্থসিদ্ধির জন্য অন্য কেউ যাতে ভোগান্তির শিকার না হয়. সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
1,572,874
2019-01-02
প্রার্থীদের থেকে কারচুপির তথ্য নেবে বিএনপি
null
নিজস্ব প্রতিবেদক. ঢাকা
৩৮
https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1572875/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A7%80%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%A5%E0%A7%87%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%9A%E0%A7%81%E0%A6%AA%E0%A6%BF%E0%A6%B0-%E0%A6%A4%E0%A6%A5%E0%A7%8D%E0%A6%AF-%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%AC%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%8F%E0%A6%A8%E0%A6%AA%E0%A6%BF
bangladesh
print
2
নির্বাচন|রাজনীতি|বিএনপি|একাদশ সংসদ নির্বাচন|জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট
• ঐক্যফ্রন্ট কাল বৃহস্পতিবার ইসিতে স্মারকলিপি দেবে • অভিযোগের তথ্য দলিল আকারে প্রকাশ করবে বিএনপি • বিএনপি ভুলত্রুটি–দুর্বলতা চিহ্নিত করার উদ্যোগ নিয়েছে• বিএনপি বলছে. ভোটাধিকার হরণের নতুন নজির হয়েছে • বিএনপির ভেতরে-বাইরে নেতৃত্বের দুর্বলতা নিয়েও প্রশ্ন • ঐক্যফ্রন্ট কাল বৃহস্পতিবার ইসিতে স্মারকলিপি দেবে • অভিযোগের তথ্য দলিল আকারে প্রকাশ করবে বিএনপি • বিএনপি ভুলত্রুটি–দুর্বলতা চিহ্নিত করার উদ্যোগ নিয়েছে• বিএনপি বলছে. ভোটাধিকার হরণের নতুন নজির হয়েছে • বিএনপির ভেতরে-বাইরে নেতৃত্বের দুর্বলতা নিয়েও প্রশ্ন ফলাফল প্রত্যাখ্যান করলেও আপাতত বড় কোনো কর্মসূচিতে যাবে না বিএনপি। সার্বিক পরিস্থিতি বুঝে ওঠার চেষ্টা করছে তারা। দলটি গত ৩০ ডিসেম্বর ভোটের দিন ও তার আগে যেসব অনিয়ম. কারচুপি এবং হামলা. মামলা ও গ্রেপ্তারের ঘটনা ঘটেছে; তার আসনভিত্তিক তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করার উদ্যোগ নিয়েছে। তা গ্রন্থিত করে দলিল আকারে প্রকাশ করা হবে। এ ছাড়া নির্বাচনে নিজেদের ভুলত্রুটি. দুর্বলতাও চিহ্নিত করার উদ্যোগ নিয়েছে। এদিকে অবিলম্বে পুনর্নির্বাচনের দাবিতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীরা আগামীকাল বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনে (ইসি) স্মারকলিপি দেবেন। এ লক্ষ্যে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীদের বৃহস্পতিবার সকালে গুলশানের বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। বিএনপির দায়িত্বশীল একাধিক সূত্র থেকে এ তথ্য জানা গেছে। সূত্রগুলো বলছে. নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে নির্বাচনের দিন পর্যন্ত কী কী ঘটেছিল. তার সুনির্দিষ্ট বৃত্তান্ত প্রার্থীদের কাছ থেকে লিখিত আকারে সংগ্রহ করা হবে। এ লক্ষ্যে একটি খসড়া ফরম করা হয়েছে। তাতে তফসিল ঘোষণার পর থেকে প্রতীক বরাদ্দ পর্যন্ত. প্রতীক বরাদ্দ থেকে নির্বাচনের দিন পর্যন্ত কোন আসনে কতটি মামলা ও কতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে. প্রচারের সময় কতটি হামলা এবং তাতে কতজন আহত হয়েছেন. ভোটের আগের রাতে কেন্দ্রগুলোতে কী হয়েছিল. আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা বাসাবাড়িতে গিয়ে কী ধরনের হুমকি-ধমকি দিয়েছিলেন. ভোটের দিন কীভাবে এজেন্টদের কেন্দ্রে যেতে বাধা দেওয়া হয়. কেন্দ্র থেকে কীভাবে মারধর করে বের করে দেওয়া হয়েছে. ভোটে কী ধরনের কারচুপি করা হয়েছে—তা ফরমে জানতে চাওয়া হবে। এই উদ্যোগের বিষয়ে এখনই বিএনপির কেউ কথা বলতে রাজি হননি। তবে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গত সোমবার স্থায়ী কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেছেন. তাঁরা নির্বাচনে অনিয়ম. ভোট ডাকাতির তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে পরবতী করণীয় ঠিক করবেন। বিএনপির নেতারা বলছেন. ৩০ ডিসেম্বরের এমন একটি নির্বাচন হয়েছে. যা ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির একতরফা নির্বাচনের চেয়েও ভয়াবহ। তাই ক্ষমতাসীন দল এই নির্বাচনের অনিয়ম. অসংগতি ও রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে যা যা করেছে. তার তথ্য-উপাত্ত সন্নিবেশিত করে দলিল আকারে সংরক্ষণ করা জরুরি। তারা মনে করছেন. ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচন ছিল এক রকম। আর ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন মানুষের ভোটাধিকার হরণের নতুন নজির দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গতকাল প্রথম আলোকে বলেন. ‘পুরো রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে এই সরকার নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে যোগসাজশ করে এমন একটা নির্বাচন করল. এটা জাতির রাজনৈতিক ইতিহাস ও নির্বাচনের ইতিহাসে সবচেয়ে কলঙ্কময় ঘটনা বলে আমি মনে করি।’ বিএনপির নীতিনির্ধারকেরা মনে করছেন. ক্ষমতাসীন মহাজোটের ২৮৮ আসনের বিপরীতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট মাত্র সাতটি আসন পেয়েছে। বেশির ভাগ আসনেই ভোটের ব্যবধান লাখের বেশি। ভোটের এই অস্বাভাবিক ফলাফল মানুষ বিশ্বাস করছে না এবং তা সর্বত্র আলোচনার বিষয়ে পরিণত হয়েছে। বিএনপির নেতারা মনে করছেন. বিএনপি ও আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের ভোটের ব্যবধান যদি কাছাকাছি হতো বা বিএনপির আসনসংখ্যা আরও বাড়ত. তাহলে ভোট ভালো কি খারাপ হয়েছে. তা নিয়ে মানুষ কিছুটা বিভ্রান্ত হতো. অনেকের কাছে বিশ্বাসযোগ্যতা পেত। এ ছাড়া ২০১৪ সালের দশম সংসদ নির্বাচনে বিএনপির না যাওয়া. প্রধানমন্ত্রীর সংলাপে সাড়া না দেওয়া নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন ছিল। তখন দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এ নিয়ে অনেক সমালোচনা শুনতে হয়েছে। কিন্তু এবার বিএনপি নিজ থেকে সংলাপের প্রস্তাব পাঠিয়েছে. একাধিকবার সংলাপে গেছে. কোনো দাবি না মানা সত্ত্বেও নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। কিন্তু ভোটে বিএনপিকে মাঠে নামতে দেওয়া হয়নি। এখন নেতারা মনে করছেন. দলীয় সরকারের অধীন ২০১৪ সালের সংসদ নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত যে সঠিক ছিল. এই নির্বাচন তার পক্ষে শক্ত ভিত্তি দিয়েছে। বিএনপির নেতারা বলছেন. এবার নির্বাচনে না গেলে দল ভেঙে যেত। তবু কম প্রস্তুতিতে অনেক প্রতিকূল পরিস্থিতিতে বিএনপিকে এই নির্বাচনে অংশ নিতে হয়েছে। সরকার চেয়েছিল নির্বাচন ঘিরে বিএনপিতে বিভক্তি ধরাতে। তা সম্ভব হয়নি। বিএনপির মনোনয়নবঞ্চিতদের একটি অংশকে সরকারের মিত্র আরেকটি জোটে নিয়ে নির্বাচিত করারও পরিকল্পনা ছিল সরকারি দলের। এক আসনে একাধিক প্রার্থীকে প্রাথমিক মনোনয়ন দেওয়ায় এই কৌশল সফল হয়নি বলে বিএনপি মনে করছে। দলটির নেতাদের দাবি. ন্যূনতম সুষ্ঠু ভোট হলে ফলাফল ভিন্ন হতো। রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে সরকারি দল ফলাফল আগে থেকে নির্দিষ্ট করে রেখেছিল। ৩০ ডিসেম্বর ছিল আনুষ্ঠানিকতা মাত্র। অবশ্য নির্বাচনের পর বিএনপির ভেতরে-বাইরে নেতৃত্বের দুর্বলতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। এ ছাড়া নির্বাচনে প্রস্তুতির ঘাটতি. কিছু আসনে দুর্বল প্রার্থী মনোনয়ন. বেশির ভাগ প্রার্থীর ঝুঁকি না নেওয়ার প্রবণতা. নেতা-কর্মীদের মাঠে নামাতে না পারা. মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত দল জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের ধানের শীষ প্রতীক দেওয়া—এসব নিয়েও সমালোচনা আছে। এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এমাজউদ্দীন আহমদ প্রথম আলোকে বলেন. যেখানে প্রকাশ্যে ভোট চুরি হয়েছে. আগের রাতেই ব্যালটে সিল দিয়ে বাক্স ভর্তি করে রাখা হয়েছে. সেখানে অন্য অজুহাত খোঁজা অর্থহীন। আরও পড়ুন:আগামী সপ্তাহে নতুন সরকারশোধ নিয়েছেন শেখ হাসিনা
1,572,875
2019-01-02
নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতা
সব পক্ষের দায়িত্বশীলতা প্রত্যাশিত
মন্তব্য
https://www.prothomalo.com/opinion/article/1572873/%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%9A%E0%A6%A8-%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A6%AC%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%80-%E0%A6%B8%E0%A6%B9%E0%A6%BF%E0%A6%82%E0%A6%B8%E0%A6%A4%E0%A6%BE
opinion
print
2
সম্পাদকীয়:
নোয়াখালীর সুবর্ণচরে ৩৫ বছর বয়সী এক নারী অভিযোগ করেছেন. রোববারের নির্বাচনে তিনি বিএনপির প্রতীক ধানের শীষে ভোট দিয়েছেন বলে প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগের ১০-১২ জন কর্মী-সমর্থক তাঁকে ধর্ষণ করেছেন। এ ধরনের গুরুতর অপরাধের অভিযোগ অত্যন্ত উদ্বেগজনক; কেননা ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হওয়ার পরে এমন প্রতিহিংসামূলক প্রবণতা সমাজে স্বাভাবিক শান্তিশৃঙ্খলার জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। এভাবে শত্রুতা রাজনৈতিক ক্ষেত্র পেরিয়ে ব্যক্তিগত. পারিবারিক ও সামাজিক ক্ষেত্র পর্যন্ত সম্প্রসারিত হয়। নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতার জের স্বাভাবিক সামাজিক সম্পর্কের জন্য যেন ক্ষতিকর হয়ে না ওঠে. সরকারের সে দিকে দৃষ্টি দেওয়া উচিত। নির্বাচনের দিন দেশের বিভিন্ন স্থানে সহিংসতায় ১৭-১৮ জন মানুষ নিহত হয়েছেন। দৃশ্যত রাজনৈতিক এসব সহিংসতার সবচেয়ে ক্ষতিকর দিক হলো. নিহত প্রত্যেক ব্যক্তির স্বজনেরা হত্যাকারীদের প্রতি ঘৃণা-প্রতিহিংসা পোষণ করবেন। নির্বাচনের পরের দিনও কিছু এলাকা থেকে এমন সব সহিংসতার খবর এসেছে. যেগুলো সামাজিক শান্তিশৃঙ্খলার জন্য বড় ক্ষতির কারণ হতে পারে। যেমন গাজীপুরে একটি বাড়ি ও একটি পোলট্রি ফার্মে আগুন ধরিয়ে দেওয়া. চাঁপাইনবাবগঞ্জে দুটি বাড়িতে ভাঙচুর চালানো। ফরিদপুরে এক স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকেরা আওয়ামী লীগের সমর্থকদের ২০টি বাড়ি ভাঙচুর করেছে বলে অভিযোগ এসেছে। এসব সহিংসতা যতটা না রাজনৈতিক. তার চেয়ে বেশি গোষ্ঠীগত। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের তাঁর দলের নেতা-কর্মীদের প্রতি শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে সংযমী আচরণ করার আহ্বান জানিয়ে যথার্থ দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়েছেন। বিএনপির নেতৃত্বেরও উচিত তঁাদের নেতা-কর্মীদের প্রতি একই ধরনের আহ্বান জানানো। রাজনৈতিক দলগুলোর বিভিন্ন গ্রুপের মধ্যকার কোন্দল মেটানো ও সহিংসতা রোধ করা প্রধানত তাদেরই দায়িত্ব। তবে সহিংসতা ঘটার পর তার আইনানুগ প্রতিকারের উদ্যোগ নিতে হবে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে। প্রতিটি সহিংসতার ঘটনাই ফৌজদারি অপরাধ; আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে মনে রাখতে হবে. রাজনৈতিক কারণে কোনো ফৌজদারি অপরাধের ক্ষেত্রে আইন এড়িয়ে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। অপরাধীদের গ্রেপ্তার করতে হবে. তাদের বিচার করার জন্য যথাযথ আইনানুগ পদক্ষেপ নিতে হবে। সাধারণত ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের অভ্যন্তরীণ সহিংসতার ক্ষেত্রে আইন প্রয়োগে গড়িমসি লক্ষ করা যায়; এটা গ্রহণযোগ্য নয়. কারণ এভাবে সমাজের স্বাভাবিক শান্তিশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। নোয়াখালীর সুবর্ণচরে ধর্ষণের ঘটনায় এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে. কিন্তু ধর্ষণের অভিযোগ করা হয়েছে ১০-১২ ব্যক্তির বিরুদ্ধে। অবিলম্বে অন্য আসামিদেরও গ্রেপ্তার করা প্রয়োজন। অপরাধ সংঘটিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যদি অপরাধীদের গ্রেপ্তার করতে তৎপর হয়. তাহলে সমাজে তার ইতিবাচক প্রভাব পড়ে। বাংলাদেশে বিচারহীনতার সংস্কৃতি বলে একটা কথা বেশ চালু রয়েছে; প্রভাবশালী অপরাধীদের ক্ষেত্রে আইন প্রয়োগে অবহেলার অভিযোগ অনেক। বিশেষত ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের ‘সাত খুন মাফ’ বেশ প্রচলিত ধারণা। এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসা একান্ত প্রয়োজন। সে জন্য ক্ষমতাসীন দল ও সরকারের পক্ষ থেকে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর প্রতি এমন নির্দেশনা থাকা প্রয়োজন যে রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে যেন কেউই অপরাধ করে আইনের আওতার বাইরে থাকতে না পারে। সামাজিক শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য আইনের যথার্থ প্রয়োগের প্রয়োজনীয়তার কথা বলাই বাহুল্য। তবে তা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বা আইন প্রয়োগকারী সংস্থার একার পক্ষে সম্ভব নয়। বিশেষত রাজনৈতিক সহিংসতা এড়ানোর ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলোর ভূমিকা বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষত ক্ষমতাসীন দলের। নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতা কোনোভাবেই যাতে ঘটতে না পারে. তা নিশ্চিত করতে হবে। সারা দেশে শান্তিশৃঙ্খলার পরিবেশ স্বাভাবিক থাকুক।
1,572,873
2019-01-02
আগামী সপ্তাহে নতুন সরকার
null
নিজস্ব প্রতিবেদক. ঢাকা
২৩
https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1572876/%E0%A6%86%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%80-%E0%A6%B8%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A7%87-%E0%A6%A8%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%A8-%E0%A6%B8%E0%A6%B0%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0
bangladesh
print
2
নির্বাচন|সরকার|আওয়ামী লীগ|রাজনীতি|একাদশ সংসদ নির্বাচন
• নবনির্বাচিত সাংসদদের শপথ কাল• শনি-রোববার নতুন সরকার গঠন• বিশেষ অর্জন মাথায় রেখে মন্ত্রিসভা• মন্ত্রিসভার আকার বাড়তে পারে• মন্ত্রিসভায় আসতে পারে নতুন মুখ • নবনির্বাচিত সাংসদদের শপথ কাল• শনি-রোববার নতুন সরকার গঠন• বিশেষ অর্জন মাথায় রেখে মন্ত্রিসভা• মন্ত্রিসভার আকার বাড়তে পারে• মন্ত্রিসভায় আসতে পারে নতুন মুখ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিপুল বিজয়ের পর সরকার গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করেছে আওয়ামী লীগ। আগামী শনি বা রোববারের মধ্যে নতুন সরকার গঠন হতে পারে। এর আগে কাল বৃহস্পতিবার নবনির্বাচিত সাংসদেরা শপথ নেবেন। এদিকে আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে. নিরঙ্কুশ জয় এবং টানা তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠনের মতো ‘বিশেষ’ অর্জনের বিষয়টি মাথায় রেখেই নতুন মন্ত্রিসভা সাজানো হবে। মন্ত্রিসভার কলেবর সামান্য বাড়তেও পারে। কারণ. এবার দলের বিপুলসংখ্যক নেতা বিজয়ী হয়েছেন. মন্ত্রিসভায় মহাজোটের শরিক ওয়ার্কার্স পার্টি ও জাসদের একটি করে পদ বহাল থাকছে। জাতীয় পার্টি এখনকার মতোই একই সঙ্গে সরকারি ও বিরোধী দলে থাকতে পারে। ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন প্রথম আলোকে বলেন. সংসদ নেতা জানেন মন্ত্রিসভায় কে বা কারা থাকবেন। এ নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। প্রধানমন্ত্রীসহ বর্তমান মন্ত্রিসভার সদস্য ৫৩। তাঁদের মধ্যে নির্বাচনের আগে ৪ জন টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী বাদ পড়েছেন। নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যসংখ্যা বাড়তে পারে বলে আভাস পাওয়া যাচ্ছে। নতুন মন্ত্রিসভায় নতুন মুখও আসবে। আলোচনায় আছেন চট্টগ্রামের এক নেতা। প্রতিমন্ত্রী-উপমন্ত্রীদের দু-একজনের পদোন্নতি হতে পারে। সে ক্ষেত্রে পুরোনোদের মধ্যে থেকে বাদ দেওয়া এবং নতুনদের অন্তর্ভুক্ত করার কাজটি বেশ জটিল হবে। বেশি আলোচনা হচ্ছে অর্থমন্ত্রী নিয়ে। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হননি এবং তিনি অর্থমন্ত্রী থাকছেন না. এটা নির্বাচনের আগে পর্যন্ত মোটামুটি নিশ্চিত ছিল। তবে গতকাল তিনি সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বলেছেন. প্রধানমন্ত্রী চাইলে তিনি আরও এক বছর অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করতে চান। এখন নতুন অর্থমন্ত্রী হিসেবে দুজনের নাম আলোচনায় আছে। সরকারের সফল মন্ত্রী হিসেবে আলোচনায় থাকা কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী. বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ. শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু. স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম. শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ. সমাজকল্যাণমন্ত্রী রাশেদ খান মেননসহ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ মন্ত্রী একই মন্ত্রণালয়ে থাকতে পারেন বলেও আলোচনা আছে। বয়োবৃদ্ধ এবং প্রবীণ দু-তিনজন মন্ত্রী বাদ পড়তে পারেন। জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম গত সোমবার প্রথম আলোকে বলেন. নির্বাচন কমিশন এবং সংসদ সচিবালয়ের কাজ শেষ হওয়ার পর মন্ত্রিসভা গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হবে। মন্ত্রিসভার গঠন সম্পর্কে তিনি আনুষ্ঠানিক কোনো সিদ্ধান্ত পাননি। নবনির্বাচিত সাংসদদের গেজেট গতকাল রাতে প্রকাশ করা হয়েছে বলে মুঠোফোনে প্রথম আলোকে জানান নির্বাচন কমিশনের যুগ্ম সচিব (জনসংযোগ) এস এম আসাদুজ্জামান। এদিকে নবনির্বাচিত সাংসদেরা ইতিমধ্যে ঢাকায় আসতে শুরু করেছেন। গতকাল দুপুরে সচিবালয়ে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল ইনু সাংবাদিকদের বলেন. বৃহস্পতিবার সাংসদদের শপথ হবে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেছেন. ১০ জানুয়ারির মধ্যে মন্ত্রীদের শপথ অনুষ্ঠান শেষ হয়ে যাবে। তবে প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম বিবিসি বাংলাকে বলেছেন. ৩ থেকে ৪ তারিখের মধ্যে নতুন সরকার গঠিত হতে পারে। বেশি ভোটে জয়আওয়ামী লীগের একাধিক নীতিনির্ধারকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে. নিরঙ্কুশ জয় পেলেও কিছু আসনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর চেয়ে আওয়ামী লীগ বা মহাজোটের প্রার্থীর ভোটের ব্যবধান অনেক বেশি হওয়ায় এ নিয়ে দলে অস্বস্তি আছে। প্রভাবশালী পশ্চিমা প্রচারমাধ্যম এ নির্বাচনের নানা অনিয়ম তুলে ধরে সরকারের সমালোচনাও করছে। তবে সরকার গঠন হলে এই অস্বস্তি কেটে যাবে। ইতিমধ্যে ওআইসি. সার্ক ও ভারতের পর্যবেক্ষকদের কাছ থেকে প্রশংসা এসেছে। বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানদের অভিনন্দনবার্তাও অস্বস্তি কাটিয়ে তুলতে সহায়তা করবে। যুক্তরাষ্ট্র. ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলো থেকেও অনুরূপ শুভেচ্ছা বা অভিনন্দনবার্তা আশা করছে সরকার। আওয়ামী লীগ এবার ২৬০ আসনে প্রার্থী দিয়েছিল। চাঁপাইনবাবগঞ্জের দুটি এবং ফরিদপুরে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্যাহ বাদে দলের সব প্রার্থীই জয়ী হয়েছেন। তবে ভোটের ব্যবধান এত বেশি যে অতীতের কোনো নির্বাচনে এতটা ব্যবধানে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা জয়ী হননি। বৃহত্তর ফরিদপুর. গাজীপুর. ময়মনসিংহ অঞ্চলে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা অতীতে বড় ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন। কিন্তু চট্টগ্রাম. রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের কিছু আসনে প্রতিদ্বন্দ্বীর সঙ্গে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর ভোটের ব্যবধান অনেক বেশি। এ নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পারে। এই বিপুল বিজয়ের পরও তা উদ্যাপন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আওয়ামী লীগ। এর পেছনে মূল কারণ. উদ্যাপন করতে গিয়ে নেতা-কর্মীরা বাড়াবাড়ি করতে পারেন. এ থেকে সংঘাতের সৃষ্টি হতে পারে. জনমনে বিরূপ প্রতিক্রিয়াও হতে পারে। তাই উদ্যাপনের চেয়ে শৃঙ্খলা বজায় রাখাকেই বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও ১৪ দলের সমন্বয়ক মোহাম্মদ নাসিম প্রথম আলোকে বলেন. শেখ হাসিনা. আওয়ামী লীগ ও মহাজোটের ওপর মানুষ যে বিপুল আস্থা রেখেছে. এর প্রতিদান দেওয়া তাঁদের কাছে বড় দায়িত্ব। এই দায়িত্ব শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার দেবে। মানুষ যে ভুল করেনি. এটা পুনরায় প্রমাণ করবে পরবর্তী সরকার। আরও পড়ুন:প্রার্থীদের থেকে কারচুপির তথ্য নেবে বিএনপিশোধ নিয়েছেন শেখ হাসিনা
1,572,876
2019-01-02
নির্বাচিত দুজন নতুন. দুজন পুরোনো মুখ
null
নিজস্ব প্রতিবেদক. মৌলভীবাজার
https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1572872/%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%9A%E0%A6%BF%E0%A6%A4-%E0%A6%A6%E0%A7%81%E0%A6%9C%E0%A6%A8-%E0%A6%A8%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%A8-%E0%A6%A6%E0%A7%81%E0%A6%9C%E0%A6%A8-%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%8B%E0%A6%A8%E0%A7%8B-%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%96
bangladesh
print
2
নির্বাচন|মৌলভীবাজার|রাজনীতি|একাদশ সংসদ নির্বাচন|জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট|আওয়ামী লীগ
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মৌলভীবাজারের চারটি আসনের মধ্যে দুটিতে বর্তমান সাংসদেরা জয় পেয়েছেন। বাকি দুজন নতুন মুখ। তাঁদের একজন এবারই প্রথম সাংসদ হলেন। অন্যজন এর আগে একবার সাংসদ হয়েছেন। চারটি আসনের মধ্যে দুটি আসনে বর্তমান সাংসদেরা দল থেকে মনোনয়ন না পাওয়ায় এবার প্রার্থী হননি।দলীয় সূত্রে জানা গেছে. মৌলভীবাজার-১ (বড়লেখা-জুড়ী) আসনে এবার জয়লাভ করেছেন আওয়ামী লীগের মো. শাহাব উদ্দিন। তিনি বর্তমান সাংসদ ও জাতীয় সংসদের সরকারদলীয় হুইপ। এ নিয়ে তিনি চারবার সাংসদ হলেন। তিনি প্রথম সাংসদ হয়েছিলেন ১৯৯৬ সালে। এরপর হন ২০০৮ ও ২০১৪ সালে।মৌলভীবাজার-২ (কুলাউড়া) আসনে এবার সাংসদ হয়েছেন ধানের শীষ প্রতীকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী গণফোরামের সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ। তিনি ডাকসুর সাবেক ভিপি. ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সভাপতি ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক। সুলতান মোহাম্মদ মনসুর প্রথম সাংসদ হন নৌকা প্রতীক নিয়ে ১৯৯৬ সালে। এরপরে আর কখনো তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাননি। এবার নতুন দল. জোট ও নতুন প্রতীকে নির্বাচন করে তিনি বিজয়ী হয়েছেন। দল. জোট ও প্রতীক নতুন হলেও তিনি নিজেকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের কর্মী বলেই মনে করেন। এ আসনে বর্তমান সাংসদ আওয়ামী লীগের আবদুল মতিন। তিনি দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। পরে দলের সিদ্ধান্ত মেনে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন। এ আসনে আওয়ামী লীগ থেকে কোনো প্রার্থীই ছিল না। দলটি জোটের শরিক বিকল্পধারা বাংলাদেশকে আসনটি ছেড়ে দেয়। বিকল্পধারা থেকে এখানে প্রার্থী হয়েছিলেন এম এম শাহীন। তবে তিনি মনসুরের কাছে হেরে গেছেন। মৌলভীবাজার-৩ (মৌলভীবাজার সদর-রাজনগর) আসনে জয়লাভ করেছেন আওয়ামী লীগের নেছার আহমদ। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। এবারই প্রথম তিনি নির্বাচনে অংশ নেন। এ আসনে বর্তমান সাংসদ সৈয়দা সায়রা মহসিন। তিনি এবার আর দল থেকে মনোনয়ন পাননি। প্রয়াত সমাজকল্যাণমন্ত্রী সৈয়দ মহসিন আলী মারা গেলে তাঁর স্ত্রী সৈয়দা সায়রা মহসিন উপনির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এ আসন থেকে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন। মৌলভীবাজার-৪ (শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ) আসনে জয়লাভ করেছেন আওয়ামী লীগের মো. আব্দুস শহীদ। তিনি জাতীয় সংসদের সাবেক চিফ হুইপ এবং এ আসনের বর্তমান সাংসদ। এ নিয়ে আব্দুস শহীদ ষষ্ঠবার সাংসদ হলেন। আব্দুস শহীদ প্রথম নির্বাচিত হন ১৯৯১ সালে। এরপর ধারাবাহিকভাবে ১৯৯৬. ২০০১. ২০০৮ ও ২০১৪ সালে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন।
1,572,872
2019-01-02
আ.লীগের তিন ও জাপার একজন পুনর্নির্বাচিত
null
প্রতিনিধি. গাইবান্ধা
null
https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1572871/%E0%A6%86.%E0%A6%B2%E0%A7%80%E0%A6%97%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%A8-%E0%A6%93-%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%8F%E0%A6%95%E0%A6%9C%E0%A6%A8-%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%A8%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%9A%E0%A6%BF%E0%A6%A4
bangladesh
print
2
নির্বাচন|গাইবান্ধা|রাজনীতি|একাদশ সংসদ নির্বাচন|জাতীয় পার্টি|আওয়ামী লীগ
গাইবান্ধার মোট পাঁচটি সংসদীয় আসন। এর মধ্যে গত রোববার চারটিতে সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। গাইবান্ধা-৩ আসনে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী ফজলে রাব্বী চৌধুরীর মৃত্যুতে নির্বাচন স্থগিত রয়েছে। নির্বাচনে চারটি আসনে পুরোনোরাই নির্বাচিত হয়েছেন। গাইবান্ধার জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আবদুল মতিন বেসরকারিভাবে চারজনকে নির্বাচিত ঘোষণা করেন। গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনে মহাজোটের প্রার্থী জাতীয় পার্টির নেতা শামীম হায়দার পাটোয়ারী নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি গত বছরের ১৩ মার্চ দ্বিতীয় দফা উপনির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে জয়লাভ করেন। তিনি এবার ১ লাখ ৯৭ হাজার ৫৮৫ ও তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঐক্যফ্রন্টের ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি মাজেদুর রহমান ৬৫ হাজার ১৭৩ ভোট পেয়েছেন। এ ছাড়া এই আসনে বাসদের গোলাম রব্বানি শাহ ১২৩. মুসলিম লীগের গোলাম আহসান হাবীব মাসুদ ১৭৫. ইসলামী আন্দোলনের আশরাফুল ইসলাম খন্দকার ১ হাজার ৪০০. গণতন্ত্রী পার্টির আবুল বাসার মো. শরীতুল্লাহ ৪৬৪. গণফ্রন্টের শরিফুল ইসলাম ২০১. খেলাফত আন্দোলনের হাফিজুর রহমান সর্দার ১৬৪ ভোট. স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক সাংসদ কর্নেল (অব.) আবদুল কাদের খান ১ হাজার ৫২৯ ভোট. এমদাদুল হক ১৯৬ ভোট ও আফরুজা বারী ৩৯৪ ভোট পেয়েছেন। গাইবান্ধা-২ (সদর) আসনে মহাজোটের প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেত্রী মাহাবুব আরা বেগম গিনি হ্যাটট্রিক করেন। তিনি নবম ও দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও বিজয়ী হয়েছিলেন। তিনি এবার ১ লাখ ৮৯ হাজার ৬১৭ ও তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থী সাবেক সাংসদ মো. আবদুর রশিদ সরকার ৬৮ হাজার ৬৭০ ভোট পেয়েছেন। এ আসনে ন্যাশনাল পিপলস পার্টির জিয়া জামান খান ২১৩. সিপিবির মিহির ঘোষ ৩ হাজার ৪০৭. ইসলামী আন্দোলনের আল-আমিন ২ হাজার ২৮৯ ভোট পেয়েছেন। গাইবান্ধা-৪ (গোবিন্দগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. মনোয়ার হোসেন চৌধুরী বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি ২০০৮ সালের নির্বাচনেও জিতেছিলেন। তিনি ৩ লাখ ৮৬০ ও তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির কাজী মশিউর রহমান ৫ হাজার ৭১৭ ভোট পেয়েছেন। গাইবান্ধা-৫ (সাঘাটা-ফুলছড়ি) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হয়েছেন। এর আগে তিনি নবম ও জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও জয়ী হয়েছিলেন। তিনি ২ লাখ ৪২ হাজার ৮৬১ ও তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী ফারুক আলম সরকার ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে ১৯ হাজার ৯৯৬ ভোট পেয়েছেন। এই আসনে জাতীয় পার্টির এ এইচ এম গোলাম শহীদ ৯ হাজার ২৩১ ভোট. ইসলামী আন্দোলনের আবদুর রাজ্জাক মণ্ডল ৭২০ ভোট এবং সিপিবির যজেস্বর বর্মন ৩০৪ ভোট পেয়েছেন।
1,572,871
2019-01-02
পুরোনোরাই নির্বাচিত হলেন
null
নিজস্ব প্রতিবেদক. রংপুর
null
https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1572870/%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%8B%E0%A6%A8%E0%A7%8B%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%87-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%9A%E0%A6%BF%E0%A6%A4-%E0%A6%B9%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%A8
bangladesh
print
2
নির্বাচন|আওয়ামী লীগ|রংপুর|রাজনীতি|একাদশ সংসদ নির্বাচন|জাতীয় পার্টি|বিএনপি
রংপুরের ছয়টি আসনে আগের ছয় প্রার্থীই পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন। এর মধ্যে চারজন আওয়ামী লীগের ও দুজন জাতীয় পার্টির। এসব আসনে গড়ে ৭৮ শতাংশ ভোট পড়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ রংপুর-৬ (পীরগঞ্জ) আসনে ভোট পড়েছে ৮৯ দশমিক ৬৪ শতাংশ। জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা এ তথ্য দিয়েছেন। রংপুর-১ (গঙ্গাচড়া) আসনে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন মহাজোটের প্রার্থী জাতীয় পার্টির মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তিনি মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে জয়ী হন। মসিউর রহমান রাঙ্গা ১ লাখ ৯৮ হাজার ৯১৪. নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থী শাহ রহমতুল্লাহ ১৯ হাজার ৪৯৩. স্বতন্ত্র প্রার্থী সি এম সাদিক ৩ হাজার ৬৩৭. এনপিপির ইশা মোহাম্মদ ৫১২. ইসলামী আন্দোলের মোক্তার হোসেন ৭ হাজার ৫৭০ ভোট পেয়েছেন। রংপুর-২ (তারাগঞ্জ-বদরগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আবুল কালাম মো. আহসানুল হক চৌধুরী নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি ২০১৪ সালের নির্বাচনে মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে জয় লাভ করেন। তিনি এবারের নির্বাচনে ১ লাখ ১৮ হাজার ৩৬৮ ও তাঁর নিকটতম প্রাথী বিএনপির মোহাম্মদ আলী সরকার ৫৩ হাজার ৩৫০ ভোট পেয়েছেন। এ ছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী আনিসুল ইসলাম মণ্ডল ১৫ হাজার ৫৭৭. ইসলামী আন্দোলনের আশরাফ আলী ৯ হাজার ১৮৫. জাকের পার্টির আশরাফ উজ জামান ৩ হাজার ২৯৫. এনপিপির ওয়াসিম আহমেদ ১৬৩. বিএনএফের জিল্লুর রহমান ১১৫. বিকল্পধারার হারুন আর রশিদ ১৯৭ ও জাসদের কুমারেশ চন্দ্র রায় ১৯ হাজার ৬৭৮ ভোট পেয়েছেন। রংপুর-৩ (সদর) আসনে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান মহাজোটের প্রার্থী এইচ এম এরশাদ নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি নবম ও দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও জিতেছিলেন। এবার টানা তৃতীয়বারের মতো জিতে তিনি হ্যাটট্রিক করলেন। এবার তিনি ১ লাখ ৪২ হাজার ৯২৬ ও তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী রিটা রহমান ৫৩ হাজার ৮৯ ভোট পেয়েছেন। রংপুর-৪ (পীরগাছা-কাউনিয়া) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী টিপু মুনশি বিজয়ী হয়েছেন। তিনি ২০০৮ ও ২০১৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও জিতেছিলেন। এবারের নিয়ে তিনি টানা তিনবার জিতে হ্যাটট্রিক করলেন। এবার টিপু মুনশি ১ লাখ ৯৯ হাজার ৯৭৩ ও তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থী এমদাদুল হক ভরসা ১ লাখ ৪ হাজার ১৭৭ ভোট পেয়েছেন। রংপুর-৫ (মিঠাপুকুর) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এইচ এন আশিকুর রহমান জয়ী হয়েছেন। এবার নিয়ে তিনি টানা তিনবার জিতে হ্যাটট্রিক করলেন। এবার তিনি ২ লাখ ৪৪ হাজার ৭৫৮. তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থী শাহ মো. সোলায়মান আলম ৬৪ হাজার ১৪৭. জাতীয় পার্টির এস এম ফখর–উজ–জামান ১২ হাজার ৫০৯. বাসদের মমিনুল ইসলাম ৭৫২. ইসলামী আন্দোলনের শফিউল আলম ভোলা মণ্ডল ৩ হাজার ৩. জাকের পার্টির শামীম মিয়া ২ হাজার ৮৫ ভোট পেয়েছেন। এ আসনে ৩ লাখ ৮৬ হাজার ৪১৪ ভোটার। এর মধ্যে ৩ লাখ ৩৩ হাজার ১২৬ ভোটার ভোট দিয়েছেন।
1,572,870
2019-01-02
বিএনপির চারজনসহ ১৫ প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হচ্ছে
null
প্রতিনিধি. নাটোর
null
https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1572869/%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%8F%E0%A6%A8%E0%A6%AA%E0%A6%BF%E0%A6%B0-%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%9C%E0%A6%A8%E0%A6%B8%E0%A6%B9-%E0%A7%A7%E0%A7%AB-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A7%80%E0%A6%B0-%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%A4-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A7%87%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%A4
bangladesh
print
2
নির্বাচন|নাটোর|রাজনীতি|একাদশ সংসদ নির্বাচন|বিএনপি|জাতীয় পার্টি
নাটোরের চারটি সংসদীয় আসনে এবারের নির্বাচনে ১৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। তাঁদের মধ্যে ১৫ জনের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। তাঁদের মধ্যে বিএনপির চার প্রার্থীও রয়েছেন। জেলায় প্রথমবারের মতো বিএনপির প্রার্থীদের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়. নিয়ম অনুযায়ী যে পরিমাণ ভোট পড়েছে. তার আট ভাগের এক ভাগ ভোট না পেলে প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়। নাটোরের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে ১৫ জন এক-অষ্টমাংশ ভোট পাননি। জামানত বাজেয়াপ্ত হওয়ার তালিকায় রয়েছেন নাটোর-১ আসনে বিএনপির কামরুন্নাহার শিরিন. বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির আনছার আলী. জাতীয় পার্টির আবু তালহা. ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের খালেকুজ্জামান ও বাংলাদেশ মুসলিম লীগের মাকসুদুর রহমান। নাটোর-২ আসনে বিএনপির সাবিনা ইয়াসমিন. ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আজিজার রহমান. জাতীয় পার্টির মজিবুর রহমানের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। নাটোর-৩ আসনে বিএনপির দাউদার মাহমুদ. ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মোস্তফা ওয়ালীউল্লাহ. জাতীয় পার্টির আনিসুর রহমান ও বিকল্পধারা বাংলাদেশের মনজুর আলমের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। নাটোর-৪ আসনে জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির হারুন উর রশিদ. জাতীয় পার্টির আলাউদ্দিন মৃধা ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের বদরুল আমিনের। প্রবীণ বিএনপি নেতা ও সাবেক সাংসদ কাজী গোলাম মোর্শেদ বলেন. নাটোরে এই প্রথম কোনো নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থীদের জামানত বাজেয়াপ্তের ঘটনা ঘটল। জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আবদুর রহিম জানান. বিধি অনুযায়ী প্রদত্ত ভোটের (কাস্টিং ভোট) এক–অষ্টমাংশের কম ভোট পাওয়ায় তাঁদের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। তবে এখনো তাঁরা এ ব্যাপারে চূড়ান্ত তালিকা করেননি। শিগগিরই তালিকা প্রকাশ করা হবে।
1,572,869
2019-01-02
ভোট দেখতে গিয়ে লাশ. খোঁজ নেননি কেউ
null
নিজস্ব প্রতিবেদক. কুমিল্লা ও প্রতিনিধি. ব্রাহ্মণবাড়িয়া
https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1572868/%E0%A6%AD%E0%A7%8B%E0%A6%9F-%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%96%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%97%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A7%87-%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%B6-%E0%A6%96%E0%A7%8B%E0%A6%81%E0%A6%9C-%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A6%A8%E0%A6%BF-%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%89
bangladesh
print
2
নির্বাচন|রাজনীতি|ব্রাহ্মণবাড়িয়া|একাদশ সংসদ নির্বাচন|আওয়ামী লীগ|বিএনপি
কুমিল্লা-৮ (বরুড়া) আসনে ভোটের আগের দিন শনিবার দিবাগত রাতে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ শাখাওয়াত হোসেন (১৮) মারা গেছেন। গতকাল মঙ্গলবার সকাল নয়টায় আড্ডা ডিগ্রি কলেজের মাঠে তাঁর জানাজা হয়েছে। গত সোমবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি মারা যান। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর ও বিজয়নগর) আসনে ভোটের দিন রোববার গুলিবিদ্ধ হয়ে ইসরাইল মিয়ার (১৬) নিহত হওয়ার ঘটনায় মামলা হয়েছে। গত সোমবার তাঁর বাবা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জহির মিয়াসহ ৩৫ জনের নামোল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা চার-পাঁচ শ জনকে আসামি করেছেন। শাখাওয়াত বরুড়া উপজেলার আড্ডা গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে। পাঁচ ভাই ও তিন বোনের মধ্যে তিনি চতুর্থ। তিনি শ্রমিকের কাজ করতেন। গতকাল তাঁর জানাজায় বিএনপির প্রার্থী জাকারিয়া তাহের অংশ নেন। পরে তিনি শাখাওয়াতের পরিবারকে সান্ত্বনা দেন। ইসরাইল ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার রাজঘর দক্ষিণ এলাকার ছায়েদ মিয়ার ছেলে। সে বাবা-মায়ের দ্বিতীয় সন্তান। সে মুদি দোকানে কাজ করত। ছায়েদ রাজমিস্ত্রি। ঘটনার তিন দিন পার হলেও পুলিশ. প্রশাসন বা রাজনীতিবিদদের কেউ তাঁদের বাড়িতে যাননি। বরুড়ার বিএনপির নেতা-কর্মীরা বলেন. শনিবার দিবাগত রাত পৌনে একটার দিকে আড্ডা ডিগ্রি কলেজের ভোটকেন্দ্রে আওয়ামী লীগ ও পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এ সময় পুলিশ গুলি করে। এতে বিএনপির চারজন কর্মী গুলিবিদ্ধ হন। তাঁরা হলেন নুরুজ্জামান. শাখাওয়াত হোসেন. দিদারুল আলম ও নাহিদ হোসেন। তাঁদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সোমবার সকালে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শাখাওয়াত মারা যান। শাখাওয়াতের বাবা আবু তাহের বলেন. কলেজে কে বা কারা আগুন দিয়েছে—এ খবর পেয়ে শাখাওয়াত অন্য অনেকের সঙ্গে সেখানে যান। এরপর গুলিবিদ্ধ হন। তিনি ছেলে হত্যার বিচার চান। জানতে চাইলে বরুড়া থানার ওসি আজম মাহমুদ গতকাল বলেন. ওই ঘটনায় রোববার কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা তরুণ কুমার আচার্য এক থেকে দেড় শ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার পুলিশ. স্থানীয় লোকজন ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়. রোববার বেলা পৌনে ১১টার দিকে এ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী রাজঘর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কেন্দ্রে যান। এ সময় বিএনপির নেতা-কর্মীরা তাঁকে চারদিক থেকে ঘেরাও করেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিপেটা ও গুলি করে। এ সময় কেন্দ্র থেকে ১৫০ থেকে ২০০ গজ উত্তরে থাকা ইসরাইল গুলিবিদ্ধ হয়। একই এলাকার বাছির মিয়া. ছানা উল্লাহ ও জাবেদ মিয়াও গুলিবিদ্ধ হন। তাঁদের উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে ইসরাইল মারা যায়। ইসরাইলের মা সামিরুন বেগম গতকাল বলেন. ‘আমার ছেলের এখনো ভোটের বয়সই হয়নি। সকালে ভাত খাইয়্যা ভোট দেখতে গিয়া লাশ হইল পুলাডা। এখনো কেউ খোঁজ পর্যন্ত নিতে আইল না।’
1,572,868
2019-01-02
জয়ীদের দুজন মুক্তিযোদ্ধা. একজন মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী
null
প্রতিনিধি. নেত্রকোনা
null
https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1572867/%E0%A6%9C%E0%A7%9F%E0%A7%80%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%A6%E0%A7%81%E0%A6%9C%E0%A6%A8-%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A7%8B%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A6%BE-%E0%A6%8F%E0%A6%95%E0%A6%9C%E0%A6%A8-%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A7%8B%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%B0
bangladesh
print
2
নেত্রকোনা|নির্বাচন|রাজনীতি|একাদশ সংসদ নির্বাচন|বিএনপি|আওয়ামী লীগ
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নেত্রকোনার পাঁচটি আসনে জয়ী আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের মধ্যে দুজন মুক্তিযোদ্ধা রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে একজন খেতাবপ্রাপ্ত। এ ছাড়া জয়ী একজন প্রার্থী মুক্তিযুদ্ধের সংগঠকের স্ত্রী।ওই দুই মুক্তিযোদ্ধা হলেন নেত্রকোনা-২ (সদর-বারহাট্টা) আসনের মো. আশরাফ আলী খান খসরু ও নেত্রকোনা-৫ (পূর্বধলা) আসনে ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল বীর প্রতীক।নেত্রকোনা-৪ (মোহনগঞ্জ-মদন-খালিয়াজুরি) আসনে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক প্রয়াত আবদুল মমিনের স্ত্রী রেবেকা মমিন জয়ী হয়েছেন।জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় ও দলীয় সূত্রে জানা যায়. এবারের নির্বাচনে নেত্রকোনার পাঁচটি আসনে একজন স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ বিভিন্ন দলের ২৬ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। সব কটি আসনেই আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা জয়ী হন।আশরাফ আলী মুক্তিযুদ্ধের সময় ১১ নম্বর সেক্টরে টাইগার কোম্পানির প্লাটুন কমান্ডার হিসেবে নেত্রকোনার বিভিন্ন রণাঙ্গনে যুদ্ধ করেন। মাধ্যমিক স্কুল থেকে তিনি ছাত্রলীগের রাজনীতিতে হাতেখড়ি নেন। বর্তমানে তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। নবম সংসদ নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়ে বিএনপির প্রার্থী জেলা বিএনপির সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ উদ্দিন খানের চেয়ে ৮৬ হাজারের বেশি ভোট পেয়ে প্রথমবার নির্বাচিত হন। দশম সংসদ নির্বাচনে তিনি মনোনয়নবঞ্চিত হন। এবার তিনি ২ লাখ ৮৪ হাজার ২০৯ ভোট পেয়ে জয়ী হন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. আনোয়ারুল হক পান ৩০ হাজার ৭২২ ভোট। আশরাফ আলীর বাবা প্রয়াত নুরুল ইসলাম খানও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক। ওয়ারেসাত বেলালের পরিবারের প্রায় সবাই মুক্তিযোদ্ধা। তিনি নিজে বীর প্রতীক। তাঁর বড় ভাই কর্নেল আবু তাহের বীর উত্তম খেতাব পাওয়া। আরেক বড় ভাই জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আনোয়ার হোসেনও মুক্তিযোদ্ধা। ছাত্রজীবন থেকে রাজনীতিতে হাতেখড়ি ওয়ারেসাত বর্তমানে পূর্বধলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী কমিটির সদস্য। তিনি ২০০৮ সালের নবম সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়ে প্রথম সাংসদ হন। টানা তিনবার নির্বাচিত হয়ে এবার তিনি ‘হ্যাটট্রিক’ করলেন। এবার তিনি ১ লাখ ৬৬ হাজার ৪৭৫ ভোট পান। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বিএনপির মো. আবু তাহের তালুকদার পান ১৫ হাজার ৬৩৮ ভোট। রেবেকা মমিন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক খাদ্যমন্ত্রী মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক আবদুল মমিনের স্ত্রী। রেবেকা ষাটের দশকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি হন। এরপর দলের বিভিন্ন পদে থেকে বর্তমানে জেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী কমিটির সদস্য। তিনি ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে প্রথম সাংসদ নির্বাচিত হন। টানা তিনবার নির্বাচিত হয়ে তিনিও এবার ‘হ্যাটট্রিক’ করেছেন। এবার তিনি নৌকা প্রতীকে ২ লাখ ৪ হাজার ৪৪৩ ভোট পান। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আসামি ও সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরের স্ত্রী বিএনপির তাহমিনা জামান পান ৩৮ হাজার ১৮১ ভোট। জেলার অপর দুই জয়ী প্রার্থীদের মধ্যে নেত্রকোনা-১ (কলমাকান্দা-দুর্গাপুর) আসনে মানু মজুমদার পান ২ লাখ ৪৯ হাজার ১৭৭ ভোট। নেত্রকোনা (কেন্দুয়া-আটপাড়া) আসনে অসীম কুমার উকিল পান ২ লাখ ৭০ হাজার ১৪৪ ভোট।
1,572,867
2019-01-02
প্রথমবার অংশ নিয়েই সাংসদ হলেন গোলাপ
null
প্রতিনিধি. মাদারীপুর
https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1572866/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A5%E0%A6%AE%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%85%E0%A6%82%E0%A6%B6-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A7%87%E0%A6%87-%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%B8%E0%A6%A6-%E0%A6%B9%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%A8-%E0%A6%97%E0%A7%8B%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%AA
bangladesh
print
2
নির্বাচন|মাদারীপুর|রাজনীতি|একাদশ সংসদ নির্বাচন|আওয়ামী লীগ
মাদারীপুরের তিনটি আসনে আওয়ামী লীগের তিন প্রার্থী বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হয়েছেন। এর মধ্যে মাদারীপুর-৩ (একাংশ সদর ও কালকিনি) আসনে আওয়ামী লীগ থেকে প্রথমবার মনোনয়ন পেয়ে সাংসদ হয়েছেন আব্দুস সোবহান গোলাপ।আব্দুস সোবহান গোলাপ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ সহকারী। এই আসনে ভোট পড়েছে ২ লাখ ৫৮ হাজার ৩০৭ ভোট। এর মধ্যে গোলাপ পেয়েছেন ২ লাখ ৫২ হাজার ৪৬১ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বিএনপির আনিসুর রহমান খোকন পেয়েছেন ৩ হাজার ২৯৬ এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী সৈয়দ বেলায়েত হোসেন পেয়েছেন ২ হাজার ৫৫০ ভোট।নির্বাচনে বেসরকারি ফল ঘোষণার পর গত সোম ও মঙ্গলবার গোলাপের বাসভবনের সামনে ভোটারদের সঙ্গে তিনি শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এ সময় তিনি ভোটারদের উদ্দেশে বলেন. ‘সবার ভালোবাসা আর দোয়ায় আমি বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়েছি। আপনাদের সুখে-দুঃখে আগে যেমন ছিলাম. এখনো থাকব।’ তিনি শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। কালকিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মীর গোলাম ফারুক বলেন. ‘এই এলাকার মানুষ নৌকার ওপর নির্ভরশীল। তাঁরা শেখ হাসিনার নৌকাকে ভালোবাসেন। তাই সবাই নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে আব্দুস সোবহান গোলাপকে ভোট দিয়েছেন। তাঁর বিজয়ে আমাদের নেতা-কর্মীরা আন্দন্দিত।’ মাদারীপুর-১ ও ২ আসনে আওয়ামী লীগের পুরোনো প্রার্থীরাই বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁরা হলেন আওয়ামী লীগের সংসদীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক নূর-ই-আলম চৌধুরী। তিনি পেয়েছেন ২ লাখ ২৭ হাজার ৩৯৩ ভোট। মাদারীপুর-২ আসনে নৌ–পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান পেয়েছেন ৩ লাখ ১১ হাজার ৭৪০ ভোট। শাজাহান খান এ নিয়ে সপ্তমবার সাংসদ নির্বাচিত হলেন।
1,572,866
2019-01-02
১০ প্রার্থীর মধ্যে জামানত বাজেয়াপ্ত সাতজনের
null
প্রতিনিধি. জয়পুরহাট
https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1572865/%E0%A7%A7%E0%A7%A6-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A7%80%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A6%A7%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%87-%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%A4-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A7%87%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%A4-%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A6%9C%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0
bangladesh
print
2
নির্বাচন|রাজনীতি|একাদশ সংসদ নির্বাচন|জয়পুরহাট|জাতীয় পার্টি|আওয়ামী লীগ|বিএনপি
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়পুরহাট জেলার দুটি আসনে বিজয়ী দুই প্রার্থী ও একজন স্বতন্ত্র নারী প্রার্থী ছাড়া অন্য সাতজন প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। জেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে. জয়পুরহাট-১ আসনে (সদর ও পাঁচবিবি) আওয়ামী লীগের প্রার্থী সামছুল আলম ভোট পেয়েছেন ২ লাখ ১৯ হাজার ৮২৫টি। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র নারী প্রার্থী আলেয়া বেগম পেয়েছেন ৮৪ হাজার ২১২টি ভোট। দুজনই জামানতের ২০ হাজার টাকা ফেরত পাবেন। এদিকে ১ হাজার ৮২৩ ভোট পেয়ে জাতীয় পার্টির (জাপা) আ স ম গোলাম মোক্তাদির তিতাস. ৪ হাজার ২৪৬ ভোট পেয়ে ইসলামী আন্দোলনের দেওয়ান মো. জহুরুল ইসলাম ও ৫০৭ ভোট পেয়ে বাসদের ওয়াজেদ পারভেজ জামানত হারিয়েছেন। এই আসনে ভোটার ৩ লাখ ৯৯ হাজার ২৪৫ জন। প্রদত্ত ভোট ৩ লাখ ১৪ হাজার ২৭৩টি। জয়পুরহাট-২ আসনে (কালাই. ক্ষেতলাল. আক্কেলপুর) আওয়ামী লীগের প্রার্থী বাদে সব প্রার্থী তাঁদের জামানত হারিয়েছেন। আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন ভোট পেয়েছেন ২ লাখ ২৮ হাজার ৭৩০টি। তিনি জামানতের ২০ হাজার টাকা ফেরত পাবেন। এ আসনে জামানত হারানো প্রার্থীরা হলেন বিএনপির আবু ইউসুফ মো. খলিলুর রহমান. তাঁর প্রাপ্ত ভোট ২৬ হাজার ১২০টি; ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আবদুল বাকী. প্রাপ্ত ভোট ১ হাজার ৬৮৩টি; জাতীয় পার্টির কাজী আবুল কাশেম. প্রাপ্ত ভোট ৫৪৯টি এবং বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির শাহ জামান তালুকদার. তাঁর প্রাপ্ত ভোট ৫৪৪টি। তাঁরা প্রত্যেকে প্রদত্ত ভোটের এক–অষ্টমাংশের চেয়ে কম ভোট পেয়ে ২০ হাজার টাকার জামানত হারালেন। জানতে চাইলে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন. কোনো প্রার্থী নির্বাচনে প্রদত্ত ভোটের এক-অষ্টমাংশের চেয়ে কম ভোট পেলে তাঁর জামানতের টাকা বাজেয়াপ্ত হবে। এ আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ৭ হাজার ২৯৮ জন। প্রদত্ত ভোট ২ লাখ ৫৯ হাজার ৬৮৩টি।
1,572,865
2019-01-02
বিজয়ী পুত্রের সংবর্ধনায় সাংসদ মজিদ মণ্ডল
null
প্রতিনিধি. রায়গঞ্জ. সিরাজগঞ্জ
null
https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1572864/%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%9C%E0%A7%9F%E0%A7%80-%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%AC%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%B8%E0%A6%A6-%E0%A6%AE%E0%A6%9C%E0%A6%BF%E0%A6%A6-%E0%A6%AE%E0%A6%A3%E0%A7%8D%E0%A6%A1%E0%A6%B2
bangladesh
print
2
নির্বাচন|সিরাজগঞ্জ|রাজনীতি|একাদশ সংসদ নির্বাচন|আওয়ামী লীগ
সিরাজগঞ্জ-৫ (বেলকুচি-চৌহালী) আসনের বর্তমান সাংসদ আবদুল মজিদ মণ্ডলের ছেলে আবদুল মমিন মণ্ডল একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছেন। রূপনাই এলাকায় নিজ বাসভবনে ও দলীয় কার্যালয়ে নবনির্বাচিত সাংসদ মমিন মণ্ডলকে ফুলেল সংবর্ধনা দেওয়া হয় এবং মিষ্টি বিতরণ করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে এনায়েতপুর থানা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে দলীয় নেতা–কর্মীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় সভায় বিজয়ী আবদুল মমিন মণ্ডলকে ফুলের তোড়া দিয়ে অভিনন্দন জানান তাঁর বাবা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাংসদ আবদুল মজিদ মণ্ডল। এ সময় তিনি গত পাঁচ বছরের শাসনামলে সরকারি ও ব্যক্তিগত উদ্যোগে বিভিন্ন উন্নয়ন ও সেবামূলক কর্মকাণ্ডে সহযোগিতার জন্য নেতা–কর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এ ছাড়া প্রায় আড়াই বছর ধরে শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকায় ভুলত্রুটির জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে তিনি বলেন. ‘দলের সব কর্মসূচিতে ছিলাম. আছি। ভবিষ্যতেও থাকব. ইনশা আল্লাহ।’ তিনি তাঁর ছেলে নবনির্বাচিত সাংসদ আবদুল মমিন মণ্ডলকে এলাকার অগ্রগতির ধারাবাহিকতা বজায় রেখে নতুন নতুন উন্নয়ন কর্মসূচি ও দলকে শক্তিশালী করতে কাজ করে যেতে নানা পরামর্শ দেন। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এনায়েতপুর থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বজলুর রশিদ ও হাতেম আলী. সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী. ইউপি চেয়ারম্যান রাশেদুল ইসলাম প্রমুখ। বক্তারা এনায়েতপুর উপজেলা বাস্তবায়ন. নদীভাঙনরোধ ও তাঁতশিল্পে গ্যাস–সংযোগ প্রদানের বিষয়ে অধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে নবনির্বাচিত সাংসদকে বিশেষভাবে অনুরোধ করেন।
1,572,864
2019-01-02
ভোটের তিক্ততা ছাপিয়ে সম্প্রীতি
null
মোহাম্মদ মোস্তফা. ঢাকা
https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1572863/%E0%A6%AD%E0%A7%8B%E0%A6%9F%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%A4%E0%A6%BE-%E0%A6%9B%E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A7%87-%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A6%A4%E0%A6%BF
bangladesh
print
3
নির্বাচন|রাজনীতি|ঢাকা|একাদশ সংসদ নির্বাচন|বিএনপি|আওয়ামী লীগ
বেশ তিক্ত পরিবেশেই নির্বাচনী প্রচারণা শুরু হয়েছিল ঢাকা-৯ আসনে। গণসংযোগে নেমে বিএনপির প্রার্থী আফরোজা আব্বাস মাঠে কয়েক দফা হামলার মুখে পড়েছিলেন। অভিযোগের তির ছিল প্রতিদ্বন্দ্বী ক্ষমতাসীন দলের সাবের হোসেন চৌধুরীর কর্মীদের দিকে। নির্বাচনের পরে সেই তিক্ততা ভুলে সম্প্রীতির পরিবেশ সৃষ্টিতে এগিয়ে এলেন আওয়ামী লীগের বিজয়ী প্রার্থী সাবের হোসেন চৌধুরী। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে তিনি আফরোজা আব্বাসের শাহজাহানপুরের বাসায় গিয়েছিলেন কুশল বিনিময় করতে এবং ভবিষ্যতে একযোগে এলাকার উন্নয়নে কাজ করার আহ্বান নিয়ে। একইভাবে ঢাকা–৪ আসনে নির্বাচনের দিন হামলায় আহত বিএনপির প্রার্থী সালাহ উদ্দিন আহমেদকে দেখতে হাসপাতালে যান জাতীয় পার্টির বিজয়ী সৈয়দ আবু হোসেন। গতকল বেলা তিনটায় সাবের হোসেন চৌধুরী আফরোজা আব্বাসের বাসায় যান। তখন অবশ্য তিনি বাসায় ছিলেন না। আফরোজার স্বামী মির্জা আব্বাসের সঙ্গে প্রায় ৪০ মিনিট সময় কাটান সাবের। মির্জা আব্বাস ঢাকা-৮ আসনের বিএনপির প্রার্থী ছিলেন। ২০০৮ সালে আসন পুনর্বিন্যাসের আগে ঢাকা-৮ ও ঢাকা-৯ একসঙ্গে ছিল। তখন এই দুই আসন মিলিয়ে ছিল ঢাকা-৬। ১৯৯৬ ও ২০০১ সালের নির্বাচনে সাবের হোসেন চৌধুরী আওয়ামী লীগের এবং মির্জা আব্বাস বিএনপির প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিলেন। আব্বাস দম্পতিকে আগাম না জানিয়ে হঠাৎ করেই সাবের হোসেন চৌধুরী তাঁদের শাহজাহানপুরের বাসায় যান। এ সময় তাঁর সঙ্গে কোনো নেতা-কর্মী ছিলেন না। তিনি মির্জা আব্বাসের বাসায় দায়িত্বরত নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গে করমর্দন করে তাঁদের খোঁজখবর নেন। সাবের হোসেন চৌধুরীর হঠাৎ আগমন এবং হাসিমাখা মুখ দেখে হতবাক হয়ে যান নিরাপত্তাকর্মী এবং সেখানে অবস্থানরত আব্বাসের কয়েকজন সমর্থক। সাবের হোসেন চৌধুরীকে মির্জা আব্বাসের অফিসকক্ষে বসিয়ে তাঁর আগমনের খবর ভেতরে নিয়ে যান এক কর্মচারী। ঘরোয়া পোশাকেই অতিথিকে অভ্যর্থনা জানান আব্বাস। পরে তাঁরা প্রায় ৪০ মিনিট বিভিন্ন বিষয়ে একান্তে কথা বলেন। এরপর সাবের হোসেন চৌধুরীকে গাড়ি পর্যন্ত এগিয়ে দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। হাসিমুখেই মির্জা আব্বাস হাত মিলিয়ে সাবের হোসেন চৌধুরীকে বিদায় জানান। প্রচারণার সময় আফরোজার ওপর হামলার অভিযোগ ওঠার পরই নির্বাচনের পরিবেশ আরও উন্নত করতে নিজ থেকেই আফরোজা আব্বাসকে আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছিলেন সাবের হোসেন চৌধুরী। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর বাসায় যাওয়ার কারণ জানতে চাইলে গতকাল রাতে সাবের হোসেন চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন. ‘আমাদের রাজনৈতিক আদর্শ. চিন্তা ও দর্শনে ভিন্নতা থাকতে পারে. তবে সামাজিকভাবে সম্পর্ক থাকবে না. এটা তো হয় না। উনি (আফরোজা আব্বাস) যেহেতু এই এলাকা থেকে নির্বাচন করেছেন. তাই উনারও হয়তো কিছু উন্নয়ন নিয়ে চিন্তা থাকতে পারে। সেই সব চিন্তা শোনার জন্যই কথা বলতে গিয়েছি।’ সাবের বলেন. ‘আফরোজা পেয়েছেন ৬০ হাজার ভোট। এলাকার প্রায় ২০ শতাংশ মানুষ উনাকে সমর্থন জানিয়েছেন। তাঁর মতামতেরও একটা গুরুত্ব রয়েছে। জনপ্রতিনিধি হওয়ার পর দলমত-নির্বিশেষে বিজয়ী প্রার্থী সকলের প্রতিনিধি। আমি সবাইকে নিয়েই উন্নয়ন করতে চাই।’ মির্জা আব্বাস বলেন. ‘আফরোজার সঙ্গে সাবের হোসেন চৌধুরী দেখা করতে এসেছিলেন। তবে আফরোজা বাসায় ছিল না। তাই আমার সঙ্গেই কথাবার্তা হয়েছে।’ কোন বিষয়ে কথা হয়েছে জানতে চাইলে মির্জা আব্বাস বলেন. নানা বিষয়ে কথাবার্তা হয়েছে। সালাউদ্দিনকে দেখতে হাসপাতালে গেলেন সৈয়দ আবু হোসেননির্বাচনের দিন দুর্বৃত্তদের হামলায় আহত ঢাকা-৪ আসনের বিএনপির প্রার্থী সালাউদ্দিন আহমেদকে দেখতে গেছেন ওই আসনে নবনির্বাচিত সাংসদ সৈয়দ আবু হোসেন। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎ​সাধীন সালাউদ্দিনকে দেখতে যান তিনি। সৈয়দ আবু হোসেন প্রথম আলোকে বলেন. ‘সালাহউদ্দিন আহমেদ ঘুমে ছিলেন। এ সময় ছেলে তানভীর আহমেদ রবিনসহ নিকটাত্মীয়রা উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা আন্তরিকভাবে কথা বলেছেন। আমি ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছি।’
1,572,863
2019-01-02
দেড় কেজি সোনাসহ আটক ২
null
নিজস্ব প্রতিবেদক. ঢাকা
null
https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1572983/%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%87-%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A7%9C-%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%9C%E0%A6%BF-%E0%A6%B8%E0%A7%8B%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%B9-%E0%A6%86%E0%A6%9F%E0%A6%95-%E0%A7%A8
bangladesh
online
1
অপরাধ|রাজধানী|চোরাচালান|সোনা|বিমানবন্দর
রাজধানীর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দেড় কেজি সোনাসহ দুইজনকে আটক করা হয়েছে। বুধবার বিমানবন্দরের ভেতরে লাগেজ কালেক্টিং এরিয়ায় দুজনকে আটক করে ঢাকার কাস্টম হাউসের প্রিভেন্টিভ টিম। আটক দুজন হলেন সৌদি আরবের রিয়াদ থেকে আসা যাত্রী মোলাম মিয়া (৪৫) ও বিমানবন্দরে কর্মরত প্ল্যান্ট কোয়ারাইন্টাইন কর্মকর্তা আবদুল আজিজ। প্রিভেন্টিভ টিম জানায়. লাগেজ কালেক্টিং এরিয়ায় একটি পিলারের পাশে ১ দশমিক ৬ কেজি সোনা হস্তান্তরের সময় সৌদির এক ফ্লাইটে আসা যাত্রী মোলাম মিয়া ও বিমানবন্দরে কর্মরত প্ল্যান্ট কোয়ারাইন্টাইনের (উদ্ভিদ সংগনিরোধ বিভাগ) ল্যাবরেটরি টেকনিশিয়ান আবদুল আজিজকে আটক করা হয়। এ সময় সোনার ১৪টি বার জব্দ করা হয়েছে। জব্দ করা সোনার আনুমানিক বাজারমূল্য ৮২ লাখ টাকা জানিয়ে ঢাকা কাস্টম হাউসের উপকমিশনার অথেলো চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন. ওই যাত্রী ও চোরাচালানে সহযোগিতা করায় প্ল্যান্ট কোয়ারাইন্টাইন কর্মকর্তাকে থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
1,572,983
2019-01-02
আ.লীগের সংসদীয় দলের সভা বৃহস্পতিবার
null
নিজস্ব প্রতিবেদক. ঢাকা
null
https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1572982/%E0%A6%86.%E0%A6%B2%E0%A7%80%E0%A6%97%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%B8%E0%A6%A6%E0%A7%80%E0%A7%9F-%E0%A6%A6%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A6%AD%E0%A6%BE-%E0%A6%AC%E0%A7%83%E0%A6%B9%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AA%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B0
bangladesh
online
1
সংসদ|শেখ হাসিনা|আওয়ামী লীগ|একাদশ সংসদ নির্বাচন|সরকার
আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের সভা অনুষ্ঠিত হবে আগামীকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায়। জাতীয় সংসদ ভবনে সরকারি দলের সভাকক্ষে সংসদীয় দলের সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।এর আগে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যগণের শপথ অনুষ্ঠান বেলা ১১টায় অনুষ্ঠিত হবে। সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় সংসদ ভবনের পূর্ব ব্লকের প্রথম লেভেলের শপথ কক্ষে এ শপথ অনুষ্ঠিত হবে। সংবিধান অনুযায়ী দশম জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যদের শপথ পাঠ করাবেন। গত ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৯৮টি আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ ২৫৯ টি. হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি ২২ টি. বিএনপি ৫ টি. ওয়ার্কার্স পার্টি ৩ টি. জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল ২ টি. বিকল্পধারা বাংলাদেশ ২ টি. গণফোরাম ২ টি. জাতীয় পার্টি-জেপি ১টি এবং তরিকত ফেডারেশন ১টি আসনে বিজয়ী হয়েছে। এ ছাড়া নির্বাচনে ৩ জন স্বতন্ত্র সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।
1,572,982
2019-01-02
জাতিসংঘের দূত বহিষ্কৃত
null
অনলাইন ডেস্ক
https://www.prothomalo.com/international/article/1572981/%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%98%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%A6%E0%A7%82%E0%A6%A4%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A6%B9%E0%A6%BF%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A6%B2-%E0%A6%B8%E0%A7%8B%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%BE
international
online
1
আফ্রিকা|জাতিসংঘ|সোমালিয়া
রাষ্ট্রীয় বিষয়ে বেআইনিভাবে নাক গলানোর অভিযোগে জাতিসংঘের দূতকে বহিষ্কার করেছে সোমালিয়া। বুধবার দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আহমেদ ইজে আওয়াদ বহিষ্কারের বিষয়টি জানান। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়. নিকোলাস হায়সোম সোমালিয়ায় জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত ছিলেন। হায়সোম দেশটির সরকার বিরোধী একজন নেতার সমর্থনকারীদের হত্যা ও আটকের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন। দমন-পীড়নের শিকার এই ব্যক্তিরা জঙ্গি সংগঠন আল-শাবাবের সাবেক উপনেতা মুখতার রোবোর অনুসারী। দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযোগ. গত বছর তাঁরা ১৫ রোবোপন্থীকে হত্যা ও ৩০০ জনকে আটক করে। নিহত ও আটক এসব ব্যক্তিদের একটাই অপরাধ. তাঁরা মুখতার রোবোর অনুসারী। গত অক্টোবরে মুখতার রোবো দেশটির সাউথ ওয়েস্ট প্রদেশের প্রধানের পদে নির্বাচন করার ঘোষণা দেন। কিন্তু দেশটির প্রশাসন এই ঘোষণাকে আমলে না নিয়ে তাঁকে নির্বাচনে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে এবং গত ডিসেম্বর প্রথম দিকে গ্রেপ্তার করে। রোবোর বিরুদ্ধে সরকারের অভিযোগ. তিনি এখনো উগ্রবাদী মতাদর্শ ছাড়েননি। রোবোকে নির্বাচনে নিষিদ্ধ ঘোষণার ও গ্রেপ্তারের পরিপ্রেক্ষিতে প্রদেশটির রাজধানী বাইদোয়ায় রোবোপন্থীরা ব্যাপক বিক্ষোভ নামে। আর এই বিক্ষোভ দমনে কঠোর হস্তক্ষেপ করে সোমালিয়ার নিরাপত্তা বাহিনী। এ পর্যন্ত ১৫ বিক্ষোভকারী নিহত ও কমপক্ষে ৩০০ জনকে আটক করা হয়েছে। এদিকে জাতিসংঘের এই দূত এসব দমন-পীড়নের বিরোধিতা করে আসছিলেন। তিনি রোবোকে নির্বাচনে নিষিদ্ধ ও গ্রেপ্তারের বিষয়ে আইনি যৌক্তিক নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। গত ৩০ ডিসেম্বর হায়সোম সোমালিয়ার সরকারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়ে জানতে চান. ‘কোন আইন বলে তারা রোবোকে নির্বাচন করতে দিচ্ছে না?’ বিষয়টি ভালোভাবে নেয়নি দেশটির কর্তৃপক্ষ। বুধবার সোমালিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আহমেদ ইজে আওয়াদ হায়সোমের ব্যাপারে প্রশ্ন তুলে বলেন. ‘তাঁকে আমরা আর সোমালিয়া স্বাগত জানাচ্ছি না’। আহমেদ ইজে আওয়াদ বিবিসিকে বলেন. ‘মি. হায়সোম কূটনৈতিক নিয়ম লঙ্ঘন করেছেন। তিনি এমন আচরণ করছেন যেন তিনি সোমালিয়ার প্রধান বা শাসক।’ তবে হায়সোমের লিখিত অভিযোগপত্রের জবাবে সোমালিয়া কর্তৃপক্ষ কি বলেছে সে বিষয়ে পরিষ্কার কিছু জানা যায়নি। প্রসঙ্গত. হায়সোম দক্ষিণ আফ্রিকার নাগরিক। তিনি দেশটির প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট নেলসন ম্যান্ডেলার আইনি উপদেষ্টা ছিলেন। সোমালিয়ার আগে তিনি জাতিসংঘের দূত হিসেবে আফগানিস্তান. সুদান ও দক্ষিণ সুদানে দায়িত্ব পালন করেন। গত সেপ্টেম্বর তাঁকে সোমালিয়ার বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে নিয়োগ দেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।
1,572,981
2019-01-02
‘নৌকায় ভোট দেওয়াই কি অপরাধ হয়েছে?’
null
প্রতিনিধি. ফরিদপুর
২৯
https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1572980/%E2%80%98%E0%A6%A8%E0%A7%8C%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%AD%E0%A7%8B%E0%A6%9F-%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%93%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%87-%E0%A6%95%E0%A6%BF-%E0%A6%85%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A7-%E0%A6%B9%E0%A7%9F%E0%A7%87%E0%A6%9B%E0%A7%87%E2%80%99
bangladesh
online
1
নির্বাচন|ফরিদপুর|আওয়ামী লীগ|একাদশ সংসদ নির্বাচন|জাতীয় নির্বাচন
ফরিদপুর-৪ (ভাঙ্গা. চরভদ্রাসন ও সদরপুরের একাংশ) আসনে আওয়ামী লীগের পরাজিত প্রার্থী দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্যাহ অভিযোগ করেছেন. নির্বাচনের রাত থেকে পরদিন পর্যন্ত বিজয়ী স্বতন্ত্র সাংসদের সমর্থকেরা ফরিদপুরের ভাঙ্গা ও সদরপুরে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বাড়িঘরে হামলা. ভাঙচুর. লুটপাট. মারধর করেছেন। এসব বিষয়ে জেলা প্রশাসক (ডিসি). পুলিশ সুপার (এসপি). থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) জানিয়েও কোনো প্রতিকার তিনি পাননি। তিনি এ সময় আক্ষেপ করে বলেন. নৌকায় ভোট দেওয়াই কি অপরাধ হয়েছে? ভাঙ্গা পৌরসভার কার্যালয়ের সামনে উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আজ বুধবার সংবাদ সম্মেলন করে এই অভিযোগ করেন সাবেক সাংসদ কাজী জাফর উল্যাহ। তিনি বলেন. ‘নির্বাচনের দিন রাত থেকে ফরিদপুর-৪ আসনের ভাঙ্গা ও সদরপুর অঞ্চলে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বাড়িঘরে প্রতিপক্ষের গুন্ডারা একাত্তরের পরাজিত শক্তির মতো তাণ্ডব চালিয়েছে।’ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুর-৪ আসনে বিজয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন। সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে কাজী জাফর উল্যাহ বলেন. ‘অনেক দুঃখ. বেদনা নিয়ে আপনাদের (সাংবাদিক) মাধ্যমে দেশবাসী ও প্রিয় নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে অত্যন্ত ছোট একটি বার্তা পৌঁছাতে চাই। নেত্রী শেখ হাসিনা নৌকায় ভোট দিতে বলেছিলেন। নৌকায় ভোট দেওয়াই কি আজ অপরাধ হয়েছে? একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে আওয়ামী লীগ আবারও ক্ষমতায় যাচ্ছে। কিন্তু ভাঙ্গা ও সদরপুর এলাকায় মার খেয়ে শেষ হয়ে যাচ্ছে নৌকার সমর্থকেরা।’ এ সময় তিনি প্রশাসনের বিরুদ্ধে দায়িত্বহীনতার অভিযোগ করে বলেন. ‘নির্বাচনের দিন রাতে ও পরদিন ভাঙ্গায় অন্তত ৮৬টি জায়গায় হামলা হয়েছে। বাড়িঘর দোকানপাট ভাঙচুর করা হয়েছে। আমরা এ ব্যাপারে থানায় ৪৮টি অভিযোগ দিয়েছি. কিন্তু পুলিশ মাত্র ৭টি মামলা নিয়েছে।’ কাজী জাফর উল্যাহ আরও বলেন. ৩১ ডিসেম্বর সকালে যখন একের পর এক খবর আসতে থাকল যে নৌকার সমর্থকদের বাড়িঘরে হামলা হচ্ছে. ভাঙচুর হচ্ছে. লুটতরাজ হচ্ছে. তখন তিনি ডিসি. এসপি ও ওসিকে আবারও জানান। কিন্তু বিন্দুমাত্র ফল পাননি। অবশেষে ওই দিন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তিনি হামলার বিষয়টি দলীয় প্রধান শেখ হাসিনাকে জানান। আক্ষেপ করে সংবাদ সম্মেলনে কাজী জাফর উল্যাহ বলেন. হামলা. ভাঙচুর ও লুটপাটের নায়কেরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও প্রশাসন ও পুলিশ নাকি তাদের খুঁজে পায় না। আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর এই সদস্য হুঁশিয়ার করে দিয়ে বলেন. ‘এই ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রশাসন ও পুলিশ যদি এ তাণ্ডব থামাতে না পারে. আসামিদের গ্রেপ্তার করতে না পারে. তাহলে আমরা এ ঘটনার প্রতিবাদে জোরালো কর্মসূচি দেব।’ কাজী জাফর উল্যাহর অভিযোগের ব্যাপারে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক উম্মে সালমা তানজিয়া বুধবার দুপুরে প্রথম আলোকে বলেন. প্রশাসন কোনো ব্যাপারে কোনো গাফিলতি করেনি। তিনি বলেন. নির্বাচনের দিন এবং নির্বাচনের পরের দিন তিনি ও পুলিশ সুপার দীর্ঘ সময় ভাঙ্গায় অবস্থান করেছেন। নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতার জন্য এ পর্যন্ত ১৫ জনকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাজা দেওয়া হয়েছে।
1,572,980
2019-01-02
আহত আ.লীগ নেতার মৃত্যু
নির্বাচনী সহিংসতা
নিজস্ব প্রতিবেদক. বগুড়া
https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1572979/%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%81%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%86%E0%A6%B9%E0%A6%A4-%E0%A6%86.%E0%A6%B2%E0%A7%80%E0%A6%97-%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%81
bangladesh
online
1
নির্বাচন|সহিংসতা|অপরাধ|আওয়ামী লীগ|রাজনীতি|একাদশ সংসদ নির্বাচন|বিএনপি
বগুড়ার কাহালু উপজেলায় ভোটের দিন নির্বাচনী সহিসংতায় আহত আওয়ামী লীগ নেতা ও উপজেলার পাইকর ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য নাজমুল হুদা চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। বুধবার বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।বগুড়ার পুলিশ সুপার (এসপি) আলী আশরাফ ভূঞা বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেন।পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে. ওই ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি নাজমুল হুদা ও যুবলীগের সহসভাপতি আজিজুর রহমানের ওপর ভোটের দিন কেন্দ্রের বাইরে ধানের শীষের সমর্থকেরা হামলা চালান। এতে আহত আজিজুর রহমানকে ওই দিনই হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন। আর নাজমুল হুদা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। বগুড়া-৪ আসনে (কাহালু-নন্দীগ্রাম) মহাজোট-সমর্থিত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এ কে এম রেজাউল করিমের এই সমর্থকদের ওপর ভোটের দিনদুপুরে উপজেলার বাগইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রের বাইরে হামলার ঘটনা ঘটে। এতে ওই দিনই যুবলীগের নেতা আজিজুর রহমান নিহত হন। তাঁর ছোট ভাই জাহিদুর রহমান বাদী হয়ে বিএনপির কর্মী-সমর্থকদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন। অন্যদিকে নাজমুল হুদাকে ওই দিন আশঙ্কাজনক অবস্থায় বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁর অবস্থার অবনতি ঘটলে গতকাল মঙ্গলবার তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার বিকেল সোয়া পাঁচটার দিকে নাজমুল হুদা মারা যান। কাহালু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শওকত কবির প্রথম আলোকে বলেন. ভোটের দিন কেন্দ্রের বাইরে এই হামলার ঘটনায় ইতিমধ্যেই কাহালু থানায় হত্যা মামলা হয়েছে। এ পর্যন্ত তিন আসামিকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। একই ঘটনায় নিহত আজিজুরের ভাই হত্যা মামলা করায় নতুন করে আর কোনো মামলার প্রয়োজন নেই। প্রসঙ্গত. গত ৩০ ডিসেম্বর ভোটের দিন ও আগের দিন রাতে দেশের বিভিন্ন স্থানে নির্বাচনী সহিংসতায় ১৭ জন নিহত হন।
1,572,979
2019-01-02
বছরের শুরুতেই প্রথা ভাঙল ভারতে!
null
প্রতিনিধি. নয়াদিল্লি
null
https://www.prothomalo.com/international/article/1572978/%E0%A6%AC%E0%A6%9B%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B6%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%81%E0%A6%A4%E0%A7%87%E0%A6%87-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A5%E0%A6%BE-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%99%E0%A6%B2-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A7%87
international
online
1
ভারত|নারী
নতুন বছরের শুরুতেই প্রথা ভাঙল। কেরালার বিখ্যাত শবরীমালা মন্দিরে প্রবেশ করলেন দুই নারী. যাঁরা ঋতুমতী. যাঁদের বয়স চল্লিশের কোঠায়। আজ বুধবার ভোরে কালো পোশাক পরে পুলিশের সাহায্যে মন্দিরে প্রবেশ করে প্রার্থনা শেষে নির্বিঘ্নে চলে যান ওই দুই নারী। এর পরেই বন্ধ করে দেওয়া হয় ‘অপবিত্র’ হয়ে যাওয়া মন্দির। ধোয়া-মোছার পর ‘পবিত্রতা’ ফিরিয়ে এনে ফের খোলা হয় মন্দির। কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন. ‘আজ দুই নারী শবরীমালা মন্দিরে প্রবেশ করেছেন। পুলিশকে স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া আছে. যেসব নারীরা মন্দিরে যেতে চান. তাঁদের যেন সব ধরনের নিরাপত্তা দেওয়া হয়।’ শবরীমালা মন্দিরে হিন্দু দেবতা আয়াপ্পার অধিষ্ঠান। আয়াপ্পার পুরুষ ভক্তদের দাবি. ওই দুই নারী মন্দিরে ঢোকার চেষ্টা করলেও দেবতার দর্শন হয়নি। কেরালা হাইকোর্টের নির্দেশে ১৯৯১ সাল থেকে শবরীমালা মন্দিরে ১০ থেকে ৫০ বছর বয়সী নারীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ। এই প্রথা এবং লিঙ্গবৈষম্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়। গত বছরের সেপ্টেম্বরে সুপ্রিম কোর্ট রায় দেন. ধর্মাচরণের ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের মধ্যে ভেদাভেদ করা যায় না। রায় সত্ত্বেও গত চার মাসে কোনো ঋতুমতী নারী শবরীমালা মন্দিরে প্রবেশ করতে পারেননি। সেই অসাধ্য সাধিত হলো বুধবার ভোরে। দীর্ঘ গিরিপথ হেঁটে ভোর চারটার সময় চল্লিশ বছর বয়সী ওই দুই নারী. বিন্দু ও কনক দুর্গা. মন্দিরে প্রবেশ করেন। টেলিভিশন ভিডিওতে দেখা যায়. কালো কাপড়ে শরীর ঢেকে পুলিশের সাহায্যে দুই নারী মন্দিরে ঢুকছেন। বিন্দুর বয়স ৪৪। তিনি সিপিআই (এমএল) সমর্থক ও কর্মী। কনক দুর্গার বয়স ৪২। তিনি তামিলনাড়ুর অসামরিক সরবরাহ দপ্তরের কর্মী। ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে তিনি কেরালায় আসেন আয়াপ্পা দর্শনের ইচ্ছায়। এর ঠিক আগের দিন. মঙ্গলবার. কেরলের শাসক বামপন্থী ফ্রন্টের উদ্যোগে লিঙ্গবৈষম্যের বিরুদ্ধে কয়েক লাখ নারী মানববন্ধন করেন। উত্তর থেকে দক্ষিণ ৬২০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই রাজ্যে লাখ লাখ মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে এই মানববন্ধনে শামিল হন। উদ্যোক্তাদের দাবি তিরিশ লাখ নারী এই প্রতিবাদে জড়ো হয়েছিলেন। এর পাল্টা মানববন্ধনের ডাক দিয়েছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ। তাদের দাবি. ধর্মাচরণের ক্ষেত্রে প্রথা ও বিশ্বাসকে গুরুত্ব দিতে হবে।
1,572,978
2019-01-02
উপাচার্যদের উপাচার্য
null
রউফুল আলম. যুক্তরাষ্ট্র থেকে
https://www.prothomalo.com/durporobash/article/1572977/%E0%A6%89%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%89%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AF
durporobash
online
1
null
ফিলিপ জোসেফ হার্টগ ঢাকায় এলেন। সংক্ষেপে পি জে হার্টগ। নবস্থাপিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে তাকে লন্ডন থেকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। ঢাকায় তখন গাড়ি নেই তেমন। ঘোড়ার গাড়ির চল। ঢাকা জুড়ে ঘোড়ার গাড়ির ঠকঠক শব্দ। হার্টগ সস্ত্রীক ঘোড়ার গাড়িতে চেপে বসলেন। তিনি রসায়নে পিএইচডি করা। পণ্ডিত লোক। ইংল্যান্ডের বিদ্বৎসমাজে তার খুব খ্যাতি। গবেষণার চেয়ে প্রশাসনিক দক্ষতায় ছিলেন পারদর্শী। ঢাকায় আসার আগে তিনি লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ছিলেন। সতেরো বছর কাজ করেছেন সেখানে। ঢাকায় এসে তাঁর সঙ্গে পরিচয় হলো. বলধার জমিদার নরেন্দ্র নারায়ণের সঙ্গে। নরেন্দ্র নারায়ণের ছিল অসম্ভব উদ্ভিদ প্রীতি। তাঁর বাড়ির আঙিনা ছিল বহু জাতের গাছে ভরা। সেই বাগান এখন ‘বলধা গার্ডেন’ নামে পরিচিত। হার্টগ সেই বাগান দেখে বিস্মিত। অভিভূত! নরেন্দ্র নারায়ণ সেই বাগানেই হার্টগকে সংবর্ধনা দিলেন। হার্টগ বিয়ে করেছিলেন একান্ন বছর বয়সে। স্ত্রী ম্যাবল হার্টগের বয়স তখন আটাশ। স্বামী-স্ত্রী দুজনেই পারিবারিকভাবে ইহুদি। ঢাকায় তখন হাতেগোনা দুই-চারটি ইহুদি পরিবার। নেই কোনো তাদের উপাসনালয় (সিনেগগ)। ম্যাবল হার্টগ সিনেগগ না পেয়ে কিছুটা ব্যথিত হলেন। হার্টগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেই বাছাই করা শিক্ষক নেওয়া শুরু করলেন। তিনি জানতেন. বৃক্ষের পরিচয় ফলে আর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচয় সেটার শিক্ষকদের যোগ্যতায়। তিনি নিয়োগ দিলেন সত্যেন বোসকে। লন্ডন থেকে ডেকে আনলেন বাঙালি তরুণ রসায়নবিদ জ্ঞান ঘোষকে। এই জ্ঞান ঘোষকে নিয়ে আমি লিখেছিলাম—বিস্মৃত এক বাঙালি বিজ্ঞানী। জ্ঞান ঘোষ ছিলেন প্রবাদতুল্য জ্ঞানী ও দূরদর্শী। কুড়ি বছর বয়সে মাস্টার্সে পড়ার সময় কলকাতায় বসে রসায়নের সবচেয়ে বিখ্যাত জার্নালে গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশ করেছিলেন। তাও একক অথার হিসেবে। যা হোক. হার্টগের সময় নিয়োগ পেলেন ড. পি মহেশ্বরী ও ড. ওসমান গনির মতো ডাকসাইটে লোক। প্রফেসর বি এম সেনগুপ্ত. ওলাল্টার এ জেনকিনসন. ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ও মোতাহার হোসেন চৌধুরী—এমন পণ্ডিতদের দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শুরু করলেন ফিলিপ জোসেফ হার্টগ। সত্যেন বোসের মতো লোকের প্রফেসরশিপ আটকে দিয়েছিলেন এই হার্টগ। চাট্টিখানি কথা নয়! নিয়মের সঙ্গে আপস করেননি। ডক্টরেট ডিগ্রি ছাড়া তার আমলে প্রফেসর হওয়ার নিয়ম ছিল না। সে নিয়মের ব্যত্যয় ঘটিয়েছেন শুধুমাত্র আলবার্ট আইনস্টাইনের সুপারিশপত্র পেয়ে। হার্টগ জানতেন. আইনস্টাইন যার পক্ষে লিখেছেন. সে লোক যেন-তেন নয়। কোনো গভর্নরের সুপারিশে হার্টগ নত হননি। হার্টগের সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছিল নক্ষত্রদের সমাবেশ। সে সময়ের গভর্নর জেনারেল রোনাল্ডসে তাকে লিখেছিলেন—‘শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রত্যেক প্রার্থীর সঙ্গে পৃথকভাবে বসে আলোচনা করে প্রার্থী নির্বাচন করতে হবে। তাদের সঙ্গে আলোচনায় যেসব বিষয় প্রাধান্য পাবে তা হলো. তাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা. অভিজ্ঞতা ইত্যাদি। তবে সবার আগে তাদের পেশাগত সুখ্যাতি বা বাজারমূল্য (Market Value) যাচাই করে দেখতে হবে।’ বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা নিয়ে শত বছর পরও যদি বিস্তর লেখা হয়. সেখানে পি জে হার্টগের নাম আসবেই। আজকের দিন পর্যন্ত তার চেয়ে দূরদর্শী. প্রতিষ্ঠানপ্রেমী. প্রাজ্ঞ ও জ্ঞান সমঝদার উপাচার্য বাংলাদেশের কোনো উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান সম্ভবত পায়নি। স্বাধীনতার পর তো অবশ্যই নয়! তাই আমি তাকে বলি. উপাচার্যদের উপাচার্য—The Vice Chancelor of Vice Chancelors। তাঁকে নিয়ে আমাদের অনেক লেখালেখি দরকার। তাঁকে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অবগত করা দরকার। তাহলেই শিক্ষার্থীরা বুঝবেন. প্রায় এক শ বছর আগেও আমাদের চিন্তাচেতনা কতটা আধুনিক ও কালজয়ী ছিল। পি জে হার্টগ এক শ বছর আগে যে লক্ষ্য নিয়ে কাজ করতেন. সেই লক্ষ্যে কাজ করত পশ্চিমের দেশগুলো। ইউরোপ-আমেরিকা সেই সব লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যেতে পেরেছে বলেই তাদের দেশে গড়ে উঠেছে পৃথিবীসেরা প্রতিষ্ঠান। একজন ভিনদেশি ও ভিন জাতের মানুষ হয়েও শুধুমাত্র জ্ঞান. কর্তব্য ও প্রতিষ্ঠানকে ভালোবেসে তিনি যে কঠোর কঠিন ও আধুনিক হতে পেরেছিলেন. একজন স্বদেশি স্বজাতির মানুষ হয়েও আজকের উপাচার্যরা তেমন হতে পারছে না কেন? সূত্র: বিস্মৃত এক বাঙালি বিজ্ঞানী. প্রথম আলো. ২৯ আগস্ট ২০১৭ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষা: সৈয়দ আবুল মকসুদ। ড. রউফুল আলম: রসায়ন গবেষক. যুক্তরাষ্ট্র।ইমেইল: <rauful.alam15@gmail.com>; ফেসবুক: <rauful15>
1,572,977
2019-01-02
সাবেক উপসচিব রিমান্ডে
null
নিজস্ব প্রতিবেদক. ঢাকা
১৬
https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1572976/%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%9A%E0%A6%A8-%E0%A6%95%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%95-%E0%A6%89%E0%A6%AA%E0%A6%B8%E0%A6%9A%E0%A6%BF%E0%A6%AC-%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%A8-%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A1%E0%A7%87
bangladesh
online
1
অপরাধ|আইন ও বিচার|নির্বাচন কমিশন|একাদশ সংসদ নির্বাচন
বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় গ্রেপ্তার নির্বাচন কমিশনের সাবেক উপসচিব সামছুল আলমকে তিন দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দিয়েছেন আদালত। শেরেবাংলা নগর থানা-পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মহানগর হাকিম আতিকুল ইসলাম আজ বুধবার এই আদেশ দেন। এর আগে সামছুল আলমকে আদালতে হাজির করে পাঁচ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন শেরেবাংলা নগর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সনজিৎ কুমার ঘোষ। রিমান্ডে নেওয়ার আবেদনে বলা হয়. দুই বছর আগে (২০১৬) নির্বাচন কমিশনের উপসচিব পদ থেকে অবসরে যান। সামছুল আলম গত ৩১ ডিসেম্বর বিকেল ৫টায় তাঁর মুঠোফোন থেকে নির্বাচন কমিশনের অফিস সহকারী মুহাম্মদ আমজাদ হোসেনকে ফোন করেন। আমজাদ ফোনটি নির্বাচন কমিশনের প্রশাসনিক কর্মকর্তা অরবিন্দ দাশের কাছে দিতে বলেন। সামছুল আলম তখন অরবিন্দ দাশের কাছে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বেসরকারি প্রাথমিক ফলাফলের গেজেট প্রকাশের আগে বার্তাশিট চান। অরবিন্দ তখন সামছুলকে জানান. বার্তাশিট তৈরি করতে আরও দুই ঘণ্টা সময় লাগবে। আর গেজেট প্রকাশের আগে বার্তাশিট বা কোনো প্রকার তথ্য দেওয়া সম্ভব নয়। এ ঘটনায় নির্বাচন কমিশন কর্মকর্তা অরবিন্দ সাবেক উপসচিব সামছুল আলমের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে গতকাল মঙ্গলবার শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করেন। মামলায় পরস্পর যোগসাজশে সরকারি সম্পত্তি ও জানমালের ক্ষতি করার জন্য অন্তর্ঘাতমূলক কাজ করার অপচেষ্টার অভিযোগ আনা হয়। এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে. সাবেক উপসচিব সামছুলকে নির্বাচন কমিশন সচিবের একান্ত সচিবের (পিএস) কক্ষ থেকে ৩১ ডিসেম্বর বিকেল সাড়ে পাঁচটায় আটক করা হয়। মামলার এজাহারে বাদী অরবিন্দ দাশ বলেন. সামছুলকে নির্বাচন কমিশনে আসার কারণ জিজ্ঞাসা করলে তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে একেকবার একেক ধরনের বিভ্রান্তিমূলক তথ্য দেন। সামছুলকে বার্তাশিট দেওয়া সম্ভব নয় বলা সত্ত্বেও তিনি অবৈধ উপায়ে বার্তাশিট সংগ্রহ করার জন্য অবৈধভাবে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের মতো সংরক্ষিত স্থানে অনধিকার প্রবেশ করেছেন। এজাহারে বলা হয়. অজ্ঞাতনামা আসামিদের ইন্ধন ও সহায়তায় গেজেট প্রকাশের আগে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বেসরকারি ফলাফলের বার্তাশিট বা নির্বাচনসংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করে উসকানিমূলক তথ্য উপস্থাপন করে সরকারি সম্পত্তি ও জানমালের ক্ষতি করার জন্য অন্তর্ঘাতমূলক কাজ করার উদ্দেশ্য ছিল সামছুলের। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রিমান্ডে নেওয়ার আবেদনে বলেন. এ ঘটনার বিষয়ে সরেজমিন প্রকাশ্য ও গোপনে নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করেছেন। প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়. আসামি সামছুল বিএনপি ও সমমনা দলের অন্য সদস্যদের মদদে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল নিজেদের পক্ষে নেওয়ার চেষ্টায় এবং অন্তর্ঘাতমূলক কাজ করার জন্য এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন। আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে ঘটনার বিষয়ে তিনি অসংলগ্ন কথাবার্তা বলেন। মামলার ঘটনার নেপথ্যে জড়িত অন্য আসামিদের সম্পর্কে তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করার জন্য আসামিকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা জরুরি। সামছুল আলমকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন বাতিল চেয়ে আদালতের কাছে আবেদন করেন তাঁর আইনজীবী আয়ুবুর রহমান। হয়রানি করার জন্য তাঁর মক্কেলকে এ মামলার আসামি করা হয়েছে বলে দাবি করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত আসামি সামছুলের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তদন্ত কর্মকর্তা সনজিৎ কুমার ঘোষ প্রথম আলোকে বলেন. আসামি সামছুলকে নির্বাচন কমিশন থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনার রহস্য উদ্‌ঘাটনের জন্য আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
1,572,976
2019-01-02
পুলিশ–যুবলীগ সংঘর্ষ. আহত ১০
null
প্রতিনিধি. রায়পুর. লক্ষ্মীপুর
২৬
https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1572975/%E0%A6%B2%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A7%80%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%B6-%E0%A6%93-%E0%A6%AF%E0%A7%81%E0%A6%AC%E0%A6%B2%E0%A7%80%E0%A6%97-%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%98%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%B7-%E0%A6%86%E0%A6%B9%E0%A6%A4-%E0%A7%A7%E0%A7%A6-%E0%A6%86%E0%A6%9F%E0%A6%95-%E0%A7%AC
bangladesh
online
1
যুবলীগ|অপরাধ|পুলিশ|লক্ষ্মীপুর
লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের ভেতরে পুলিশের সঙ্গে যুবলীগের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে পুলিশের ৪ সদস্যসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। ৬ জনকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার দুপুরে ওই হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে।পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়. হাসপাতালটিতে চিকিৎসাধীন যুবলীগের স্থানীয় কর্মী দেলোয়ার হোসেনের ওপর হামলার চেষ্টাকে কেন্দ্র করে পুলিশ ও যুবলীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যে এই সংঘর্ষ হয়। এতে শহরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বেলা একটার দিকে শহরের তমিজ মার্কেটে জেলা যুবলীগের কার্যালয় ঘেরাও করে পুলিশ। এ সময় দলীয় নেতা-কর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যান। পুলিশ ও যুবলীগ সূত্রে জানা যায়. সদর উপজেলার লাহারকান্দি ইউনিয়নের আঠিয়াতলী গ্রামের দেলোয়ার হোসেন আওয়ামী লীগের স্থানীয় এক নেতাকে হত্যাচেষ্টার মামলায় জামিনে মুক্তি পেয়ে গতকাল মঙ্গলবার কারাগার থেকে এলাকায় ফেরেন। বুধবার সকালে তিনি একটি ছুরি নিয়ে ওই ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমানকে আক্রমণ করেন। পরে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতা-কর্মীরা তাঁকে মারধর করে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত দেলোয়ার হোসেন ও অপর আরেকজনকে উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। খবর পেয়ে আহত দেলোয়ারকে দেখতে কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে জেলা যুবলীগের সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম সালাহ উদ্দিন টিপু হাসপাতালে যান। এ সময় টিপুর সঙ্গে থাকা লোকজন দেলোয়ারকে মারধর করেন। এতে বাধা দিতে গেলে তাঁরা পুলিশের ওপর হামলা চালান। একপর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে যুবলীগের নেতা-কর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। আহত ব্যক্তিরা হলেন সদর থানা-পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল আলিম. সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) গিয়াস উদ্দিন. কনস্টেবল নয়ন পাল. মেহেদী হাসান ও সাংবাদিক মীর ফরহাদ হোসেন সুমন। আহত অন্যদের পরিচয় প্রাথমিকভাবে জানা যায়নি। তবে পুলিশের আহত সদস্যরা সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। এই ঘটনায় পুলিশ হাসপাতাল এলাকা থেকে যুবলীগ নেতা-কর্মীদের ১০টি মোটরসাইকেল জব্দ করে নিয়ে গেছে। ঘটনাস্থল থেকে সদর (পশ্চিম) উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুবুল হক মাহবুব. সদর (পূর্ব) যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক রূপম হাওলাদার. যুবলীগের নেতা সাইমুন. ছাত্রলীগের নেতা আসিক আহমেদ ও মো. রনিকে আটক করেছে পুলিশ। সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার আনোয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন. আহত আওয়ামী লীগের নেতা আবদুর রহমানকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। আর দেলোয়ার হোসেন পুলিশ পাহারায় সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল্ল্যাহ আল মামুন বলেন. যুবলীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ভুল-বোঝাবুঝি হয়েছে। সমঝোতার চেষ্টা চলছে। লক্ষ্মীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ লোকমান হোসেন বলেন. হাসপাতালে চিকিৎসাধীন একজনের ওপর হামলার চেষ্টা করে একটি গ্রুপ। এ সময় বাধা দিলে তারা পুলিশের ওপর হামলা চালায়। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ এলোপাতাড়ি লাঠিপেটা করে ছয়জনকে আটক করে।
1,572,975
2019-01-02
প্রত্যাশা পূরণ হবে. ব্যর্থ হব না: পরিকল্পনামন্ত্রী
null
বাসস. ঢাকা
https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1572974/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%B6%E0%A6%BE-%E0%A6%AA%E0%A7%82%E0%A6%B0%E0%A6%A3-%E0%A6%B9%E0%A6%AC%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A5-%E0%A6%B9%E0%A6%AC-%E0%A6%A8%E0%A6%BE-%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%AA%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80
bangladesh
online
1
নির্বাচন|সরকার|শেখ হাসিনা|মূল্যস্ফীতি|আওয়ামী লীগ|রাজনীতি
পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন. ‘নির্বাচনের আগে জনগণের মধ্যে আশঙ্কা ছিল. ভোটে সরকার পরিবর্তন হলে চলমান উন্নয়নকাজ বন্ধ হয়ে যাবে। কিন্তু দেশবাসী স্বতঃস্ফূর্তভাবে নৌকার পক্ষে ভোট দেওয়ায় ক্ষমতাসীন দল নিরঙ্কুশ বিজয় লাভ করে। আমরা ব্যর্থ হব না. জনগণের প্রত্যাশা পূরণ হবে।’ আজ বুধবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসির সম্মেলনকক্ষে মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। অনুষ্ঠানে মাসিক ভোগ্যপণ্যের মূল্যসূচক প্রকাশকালে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন. ডিসেম্বর মাসে মূল্যস্ফীতির হার নভেম্বর থেকে সামান্য কমে ৫.৩৫ শতাংশ হয়েছে। নভেম্বর মাসে এই হার ছিল ৫.৩৭ শতাংশ। খাদ্যপণ্য এবং সাধারণ পণ্যের দাম কিছুটা কমায় মূল্যস্ফীতির হার হ্রাস পেয়েছে। আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন. সাধারণ মূল্যসূচক অক্টোবরে ৫.৪০. সেপ্টেম্বরে ৫.৪৩ ও আগস্টে ছিল ৫.৪৮ শতাংশ। এ ছাড়া জুলাইতে ৫.৫১. জুনে ৫.৫৪. মে-তে ৫.৫৭. এপ্রিলে ৫.৬৩. মার্চে ৫.৬৮. ফেব্রুয়ারিতে ৫.৭২ ও জানুয়ারিতে ৫.৮৮ শতাংশ ছিল । পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী ডিসেম্বরে খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে হয় ৫.২৮ শতাংশ. যা নভেম্বরে ছিল ৫.২৯ শতাংশ। পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন. আন্তর্জাতিক বাজারে চিনি. দুধ. পাম তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমায় মূল্যস্ফীতি কমার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। আন্তর্জাতিক বাজারে ১০ বছরের মধ্যে চিনির দাম সর্বনিম্ন পর্যায়ে। মূল্যস্ফীতি আরও কমে চলতি অর্থবছরে ৫.৫ শতাংশের মধ্যে নামিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে বলে তিনি জানান। বিপুল ভোটে নির্বাচিত করায় তাঁর নির্বাচনী এলাকার জনগণকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী। তিনি বলেন. নির্বাচনের আগে দেশের জনগণের মধ্যে কিছুটা উদ্বেগ লক্ষ করা গেছে। তাদের আশঙ্কা ছিল. ভোটে যদি সরকার পরিবর্তন হয়. তাহলে চলমান উন্নয়নকাজ বন্ধ হয়ে যাবে। কিন্তু দেশবাসী স্বতঃস্ফূর্তভাবে নৌকার পক্ষে ভোট দেওয়ায় ক্ষমতাসীন দল নিরঙ্কুশ বিজয় লাভ করে। তিনি বলেন. ‘আমরা ব্যর্থ হব না। জনগণের প্রত্যাশা পূরণ হবে।’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ সঠিক অবস্থানে থাকবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। মন্ত্রী বলেন. বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য-উপাত্তে দেখা যায়. পল্লি এলাকায় ডিসেম্বরে খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি ছিল ৪.৮৪। নভেম্বরে ছিল ৫.০৬ শতাংশ। নগরে ডিসেম্বরে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ৬.২৭ শতাংশ। নভেম্বরে ছিল ৬.৩২ শতাংশ। গত জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত বছরে গড়ে মূল্যস্ফীতি ছিল ৫.৫৫ শতাংশ। ২০১৭ সালে জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ছিল ৫.৭০ শতাংশ।
1,572,974
2019-01-02
নতুন বছরে অস্ট্রেলিয়ায় পরিবর্তন
null
কাউসার খান. সিডনি (অস্ট্রেলিয়া)
null
https://www.prothomalo.com/durporobash/article/1572973/%E0%A6%A8%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%A8-%E0%A6%AC%E0%A6%9B%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A6%85%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%A8
durporobash
online
1
null
শুরু হয়ে গেল নতুন বছর ২০১৯–এর পথচলা। নতুন বছরে অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় জীবনে আনা হয়েছে বেশ কিছু নতুনত্ব ও পরিবর্তন। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি আইন ও পরিবর্তন গতকাল ১ জানুয়ারি থেকেই চালু করা হয়েছে। দেশটির জনজীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে নতুন ও পরিবর্তিত এসব বিষয়গুলো প্রভাব ফেলতে পারে। বিদ্যুৎ ও গ্যাসের খরচ কমবে নিউ সাউথ ওয়েলস (এনএসডব্লিউ). অস্ট্রেলিয়ান ক্যাপিটাল টেরিটোরি (এসিটি). কুইন্সল্যান্ড ও সাউথ অস্ট্রেলিয়া রাজ্যের বাসিন্দাদের জন্য সুখবর এনেছে শক্তি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। ১ জানুয়ারি থেকে ব্যবহারকারীদের বিদ্যুৎ ও গ্যাস বিলের ওপর স্বয়ংক্রিয়ভাবে ১০ থেকে ১৫ শতাংশ ছাড় দেওয়া হবে। ভিক্টোরিয়া রাজ্যে ২৫০ থেকে ৭২০ ডলার পর্যন্ত ছাড় দেওয়া হবে। অন্য রাজ্যেও থাকছে বিশেষ ছাড়। বাড়বে গণপরিবহনের ভাড়া এসিটি. কুইন্সল্যান্ড ও ভিক্টোরিয়ার মেলবোর্নে গণপরিবহনের ভাড়া বাড়তে চলেছে। এসিটিতে জানুয়ারির পাঁচ তারিখ থেকে আড়াই শতাংশ ভাড়া বাড়বে। ৭ জানুয়ারি থেকে ব্রিসবেনে ১ দশমিক ৮ শতাংশ ও মেলবোর্নে ভাড়া বাড়বে ২ দশমিক ২ শতাংশ। স্যানিটারি পণ্যে কর প্রত্যাহার অস্ট্রেলিয়ায় নতুন বছরের নতুনত্বের সবচেয়ে আলোচিত পরিবর্তন. নারীদের ব্যবহৃত প্রায় সকল স্যানিটারি পণ্যের ওপর থেকে সরকারের কর উঠিয়ে নেওয়া। কেননা. এই পরিবর্তনের জন্য দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে বিভিন্ন সংগঠন কাজ করে আসছিল। অবশেষে. স্যানিটারি পণ্যের ওপর ধার্য করা ১০ শতাংশ জিএসটি তুলে নিয়েছে সরকার। দেশটির সকল রাজ্য সরকার এর সঙ্গে একমত জানিয়েছে। দেশটিতে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত স্যানিটারি পণ্য টেম্পন ও প্যাড ইত্যাদির কর বাতিল করা হয়েছে। এনএসডব্লিউ রাজ্যে শিশুর জন্য উপহার এনএসডব্লিউ রাজ্যে এ বছর থেকে প্রতি শিশুর জন্য ৩০০ ডলার মূল্যের শিশুতোষ সামগ্রী উপহার দেবে রাজ্য সরকার। গত জুন মাসে প্রায় ১৬ কোটি ডলারের এই উপহার সামগ্রী বিতরণের কথা জানায় রাজ্য সরকার। নতুন বছর থেকে জন্মানো সকল শিশুই পাবে এই উপহার। সৃজনশীলতায় মিলবে ১০০ ডলার এনএসডব্লিউ রাজ্যের শিশুদের বিদ্যালয়ের বাইরে সৃজনশীল সংস্কৃতি চর্চার জন্য ১০০ ডলার দেবে রাজ্য সরকার। রাজ্যের সংগীত. নাটক. শিল্প ইত্যাদি ক্লাসগুলোর ফিতে এই ছাড় পাবে শিশুরা। টিকা নয় তো. স্কুলও নয় ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া রাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগ শিশুদের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিতে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। ১ জানুয়ারি থেকে টিকা গ্রহণ করেনি এমন কোনো শিশুকেই বিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে না দেওয়ার আইন চালু করেছে রাজ্য সরকার। প্রকল্পটির নাম দেওয়া হয়েছে. ‘টিকা নয় তো. শিক্ষাও নয়’। আইন অমান্যে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে হাজার ডলার জরিমানা করা হবে। ন্যাশনাল ব্যাংকের গ্রাহকদের ২ ডলার এটিএম ফি ন্যাশনাল অস্ট্রেলিয়া ব্যাংকের (ন্যাব) গ্রাহকেরা রেডিএটিএম থেকে যেকোনো পরিমাণ অর্থ উত্তোলনে ২ অস্ট্রেলীয় ডলার ফি প্রদান বাধ্যতামূলক করেছে ব্যাংকটি। ১ জানুয়ারি থেকে এ শর্ত চালু হয়েছে। ফি-ফ্রি এটিএম ব্যবহারের ক্ষেত্রে এ শর্ত প্রযোজ্য নয়।
1,572,973
2019-01-02
অনিয়মের শেষ দেখে ছাড়বেন বিসিবি সভাপতি
null
ক্রীড়া প্রতিবেদক
১১
https://www.prothomalo.com/sports/article/1572971/%E0%A6%85%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B6%E0%A7%87%E0%A6%B7-%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%96%E0%A7%87-%E0%A6%9B%E0%A6%BE%E0%A7%9C%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%A8-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%BF-%E0%A6%B8%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A6%A4%E0%A6%BF
sports
online
1
বাংলাদেশ ক্রিকেট|মাশরাফি বিন মুর্তজা|আওয়ামী লীগ
নতুন বছরে প্রথমবারের মতো সংবাদমাধ্যমের সামনে এলেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান। মাশরাফির সাংসদ হওয়া. ঘরোয়া ক্রিকেটে অনিয়ম দূর করতে বর্তমান বোর্ডের উদ্যোগ—নানা বিষয়ে কথা বললেন নাজমুল। একজন বাংলাদেশ দলের ওয়ানডে অধিনায়ক. আরেকজন বিসিবি সভাপতি। মাশরাফি বিন মুর্তজা আর নাজমুল হোসেন এখন মিলে গেছেন এক বিন্দুতে—দুজনই আওয়ামী লীগের নির্বাচিত সাংসদ। মাশরাফির সাংসদ হওয়ায় বেশ রোমাঞ্চিত নাজমুল।কেন রোমাঞ্চিত. নাজমুল সেটিই আজ ধানমন্ডিতে ব্যক্তিগত কার্যালয়ে সংবাদমাধ্যমকে বললেন. ‘এটি তো এক সাংঘাতিক ব্যাপার! আমার মনে হয় ক্রিকেট ইতিহাসে এই প্রথমবারের মতো এটি হতে যাচ্ছে। আমার এটি জানা নেই বা কখনো শুনিনি যে একজন সংসদ সদস্য ক্রিকেট খেলছে মাঠে এবং অধিনায়কত্ব করছে। এটি পুরোপুরি নতুন হবে এবং আমি অনেক রোমাঞ্চিত। একটি জিনিস মনে রাখবেন যে মাশরাফি রাজনীতিতে এসেছে এবং সে অনেক বেশি সিরিয়াস। একটাই চিন্তা ওর মাথায়. সেটি হলো এলাকার কাজ। এলাকার মানুষের জন্য ও কিছু করতে চায়। আজও যতক্ষণ সে আমার সঙ্গে ছিল. একই কথা বলেছে যে পাপন ভাই আমার এটি লাগবে. ওটা লাগবে। আমি শুধু বলেছি সব হবে. আগে শপথ নিয়ে নাও. মন্ত্রী পরিষদ গঠন হোক. তুমি যা যা চাও সব হবে। সে এলাকায় কাজ করতে চায়।’রাজনীতিতে জড়ালেও মাশরাফির ভাবনায় যে ক্রিকেটই প্রাধান্য পাচ্ছে সেটিও বললেন নাজমুল. ‘ওর মনের মধ্যে যে সব সময়ই ক্রিকেট আছে এতে কোনো সন্দেহ নেই। ও (নড়াইল) থেকে সরাসরি অনুশীলনে চলে এসেছে। বিপিএল শুরু হতে যাচ্ছে। নিজের খেলার প্রতি সম্পূর্ণ সিরিয়াস. এতটুকুও পরিবর্তন হয়নি। এর বড় প্রমাণ হচ্ছে. যখন আমরা নির্বাচনের মাঠে চলে গিয়েছি এবং এলাকায় কাজ করছি তখন কিন্তু সে খেলছিল এবং খেলার মধ্যে ছিল। ও অনেক দেরি করে (এলাকায়) গিয়েছে। এটাই প্রমাণ করে যে এখনো খেলাটিই তাঁর কাছে বেশি প্রাধান্য পায়।’ মাঠের চ্যালেঞ্জ সাফল্যের সঙ্গে যেভাবে উতরে যান. বিসিবি সভাপতি আশাবাদী. মাশরাফি রাজনীতির মাঠেও সফল হবেন একইভাবে। নাজমুলের চোখে মাশরাফি হচ্ছেন. ‘সত্যিকারের এক যোদ্ধা।’ মাশরাফি চ্যালেঞ্জ উতরে গেলেও বর্তমান বোর্ড কি পারবে ঘরোয়া ক্রিকেটের অনিয়ম. সমস্যা. পক্ষপাতমূলক আম্পায়ারিং. ম্যাচ পাতানোর মতো মহামারি আকার ধারণ করা রোগ সারিয়ে তুলতে? তরুণ ক্রিকেটারদের জন্য বিষাক্ত হয়ে ওঠা পরিবেশটা স্বাভাবিক করতে? ঢাকার প্রথম. দ্বিতীয় বিভাগের ক্রিকেটে নানা অনিয়ম. ক্লাবগুলো ক্ষমতার দাপট দেখানোর চেষ্টা—এসব বন্ধে কী পদক্ষেপ নিচ্ছেন বিসিবি সভাপতি? নতুন বছরের শুরুতে নাজমুল প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন. ঘরোয়া ক্রিকেটে অনিয়ম দূর করতে তিনি উদ্যোগ নেবেন. ‘একটা ছিল বিপিএল। প্রথম যখন আসি. বিপিএল নিয়ে ঝামেলা ছিল। সেটা দূর করার চেষ্টা করেছি. মোটামুটি হয়েছেও। প্রিমিয়ার লিগ নিয়ে অনেক কথা হয়েছে। কিন্তু গতবার কোনো বিতর্ক হয়নি। ওটাও গেল। আমাদের এখন আরও নিচে যেতে হবে। প্রথম. দ্বিতীয় ও তৃতীয় বিভাগে যাব. জেলায় জেলায় যেতে হবে। সব ঠিক করতে সময় লাগবে। আম্পায়ারিংয়ে বিশেষ মনোযোগ দিতে হবে। আম্পায়ারিং যদি ঠিক করতে পারি. তাহলে সব ঠিক হয়ে যাবে। আর ক্লাবের ব্যাপার হলো. সবই আসলে ক্লাব থেকে এসেছে। সুতরাং স্বাভাবিকভাবে তাদের দাপট থাকে। বোর্ড যদি সিদ্ধান্ত নেয় যে. আম্পায়ারিং সুষ্ঠু হয়. যদি আমি শক্ত থাকি বা ওরা যদি আমার কাছ থেকে সাহস পায়. তাহলে সব ঠিক হয়ে যাবে। শুধু আম্পায়ারিং নয়. আরও অনেক অভিযোগ আছে. খুব ভয়ংকর। যা দূর করা সহজ কাজ নয়। উন্নতি হচ্ছে. নিচের পর্যায়েও হবে। আরও তিন বছর যদি ক্রিকেটের সঙ্গে থাকি. তাহলে এর শেষ দেখে নেব। কোনো জায়গায় ছাড় দেওয়া হবে না।’
1,572,971
2019-01-02
মাকড়সা ঠেকাতে পুলিশ!
null
অনলাইন ডেস্ক
null
https://www.prothomalo.com/international/article/1572963/%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A7%9C%E0%A6%B8%E0%A6%BE-%E0%A6%A0%E0%A7%87%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%B6
international
online
1
অস্ট্রেলিয়া
এক পথচারী যাচ্ছিলেন রাস্তা দিয়ে। রাস্তার ধারের বাড়ি থেকে তিনি শুনতে পেলেন এক শিশুর চিৎকার। সেই সঙ্গে শোনা গেল. ‘এটা মরছে না কেন?’ তাতেই ঘটে গেল লঙ্কাকাণ্ড। ওই পথচারী গিয়ে খবর দিলেন পুলিশে। চলে এল পুলিশ। এসে দেখল. ওই বাড়ির মালিক একটি মাকড়সাকে মারার চেষ্টা করছিলেন! বিবিসির খবরে বলা হয়েছে. ইংরেজি নতুন বছরের প্রথম দিনে অস্ট্রেলিয়ার পার্থের একটি উপশহরে এ ঘটনা ঘটে। এমন ঘটনার কথা স্বীকার করেছে স্থানীয় পুলিশ বিভাগ। এক টুইট বার্তায় পুলিশ জানিয়েছে. ওই ঘটনায় একটি মাকড়সা ছাড়া আর কেউ ‘আঘাত’ পায়নি। পুলিশের মুখপাত্র স্যামুয়েল ডিনিসন বলেন. ‘আমরা গিয়ে পুরো উল্টো বিষয় দেখতে পেয়েছি। প্রথমে ভেবেছিলাম এটি হয়তো কোনো মারাত্মক অপরাধ। খুব ভালো ব্যাপার হলো যে. এতে শুধু মাকড়সা জড়িত ছিল!’ তবে কোন প্রজাতির মাকড়সাকে মারার চেষ্টা চলছিল. তা জানা যায়নি। বিশ্বের বেশ কিছু বিষাক্ত প্রজাতির মাকড়সার বাস অস্ট্রেলিয়াতে। অবশ্য অনেক বছরে দেশটিতে মাকড়সার কামড়ে কারও মৃত্যু হয়নি। অস্ট্রেলিয়ায় মোট দুই হাজার ৯০০ প্রজাতির মাকড়সা বাস করে।
1,572,963
2019-01-02
শেখ হাসিনাকে পুতিনের অভিনন্দন
null
বাসস. ঢাকা
১৪
https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1572962/%E0%A6%B6%E0%A7%87%E0%A6%96-%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%85%E0%A6%AD%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A6%A8
bangladesh
online
1
নির্বাচন|সরকার|একাদশ সংসদ নির্বাচন|প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা|ভ্লাদিমির পুতিন|রাশিয়া
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ বিজয়ে দলের সভাপতি ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম আজ বুধবার বাসসকে বলেন. ‘রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট এক বার্তায় রোববারের জাতীয় নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জন করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা. বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও বাংলাদেশের জনগণকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। তিনি আরও বলেন. পুতিন প্রধানমন্ত্রীর সাফল্য এবং বাংলাদেশের অব্যাহত. শান্তি. অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করেছেন।
1,572,962
2019-01-02
ব্যবসা কেস প্রতিযোগিতার নিবন্ধন ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত
null
নিজস্ব প্রতিবেদক. ঢাকা
null
https://www.prothomalo.com/economy/article/1572961/%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%AC%E0%A6%B8%E0%A6%BE-%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%B8-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A7%8B%E0%A6%97%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A6%A8-%E0%A7%AB-%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%81%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BF-%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4
economy
online
1
null
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের এন্টারপ্রেনারশিপ ডেভেলপমেন্ট ক্লাবের উদ্যোগে আয়োজিত আন্তবিশ্ববিদ্যালয় বিজনেস কেস প্রতিযোগিতার নিবন্ধন চলছে। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য আয়োজিত এ প্রতিযোগিতার উদ্দেশ্য ব্যবসার নতুন ধারণা খুঁজে বের করা এবং সেটিকে সফল হতে সাহায্য করা। প্রতিযোগিতায় বিজয়ী চ্যাম্পিয়ন দল পাবে নগদ ১ লাখ টাকা। এ ছাড়া প্রথম রানারআপ ৫০ হাজার এবং দ্বিতীয় রানারআপ দল ২৫ হাজার টাকা করে পাবে। যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক-পূর্ব পর্যায়ের সর্বোচ্চ চারজনের একটি দল দলভিত্তিক এ প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবে। পিওনেরোস ৩.০ নামের এই প্রতিযোগিতার লক্ষ্য ব্যবসায়িক চিন্তার উৎসারণ ঘটানোর মাধ্যমে নতুন নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টির করে দেশে একটি স্থায়ী উদ্যোক্তা সংস্কৃতি তৈরি করা। আয়োজকেরা জানান. প্রতিযোগিতামূলক পৃথিবীর পরিবর্তনশীল চাকরিবাজারে টিকে থাকতে হলে প্রয়োজন একাধিক দক্ষতার সমন্বয়. প্রয়োজন ব্যবহারিক অভিজ্ঞতা এবং সেগুলোকে বিভিন্ন প্রয়োজনে বিভিন্নভাবে ব্যবহার করতে পারার ক্ষমতা। এই প্রতিযোগিতা শিক্ষার্থীদের মধ্যে এই গুণের বহিঃপ্রকাশ ঘটাবে বলে তাঁরা আশা করছেন। ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত আগ্রহী দলগুলো নিবন্ধন করতে পারবে। ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত অনলাইন ধাপের পর নির্বাচিত দলগুলো আগামী ১৮ জানুয়ারি নিজেদের ব্যবসার কেস উপস্থাপন করার সুযোগ পাবে। দ্য সিটি ব্যাংক লিমিটেডর পৃষ্ঠপোষকতায় আয়োজিত এই আয়োজনের সহযোগী প্রথম আলো। নিবন্ধন ও বিস্তারিত তথ্যের জন্য https://www.edcbuet.org/pioneros/
1,572,961
2019-01-02
মহাজোট হারলে দেশ বিপর্যয়ের মুখে পড়ত: মেনন
null
নিজস্ব প্রতিবেদক. ঢাকা
১৫
https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1572960/%E0%A6%AE%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A7%8B%E0%A6%9F-%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%B2%E0%A7%87-%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%9F%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%96%E0%A7%87-%E0%A6%AA%E0%A7%9C%E0%A6%A4-%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A6%A8
bangladesh
online
1
নির্বাচন|রাজনীতি|একাদশ সংসদ নির্বাচন|রাশেদ খান মেনন|বিএনপি
সমাজকল্যাণমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেছেন. আজ যদি মহাজোট ভোটে হেরে যেত.তাহলে দেশ খুব বড় বিপর্যয়ের সম্মুখীন হতো। নেতৃত্বশূন্য.মেধাহীন ঐক্যফ্রন্টের ছায়ায় বিএনপি দেশকে আবার বহু বছর পেছনে নিয়ে যেত। সন্ত্রাস.চাঁদাবাজি. জঙ্গিবাদের অভয়ারণ্যে পরিণত হতো দেশ। মহাজোটের এই বিজয়ে দেশ খুব বড় একটি বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে। আজ বুধবার বিকেলে সমাজকল্যাণমন্ত্রী তাঁর সরকারি বাসভবনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন। রাশেদ খান মেনন বলেন. একাদশ জাতীয় নির্বাচনে নৌকার যে বিশাল বিজয় এসেছে. তা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনার ফসল নয়। এ বিজয় গত ১০ বছরের উন্নয়ন ও পরিশ্রমের ফসল। বর্তমান সরকারের গত ১০ বছরের ক্রমবর্ধমান উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে দেশের মানুষ কেবল তুষ্টই থাকেনি. ভোটের মাধ্যমেই তাদের ইচ্ছার বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সৈয়দ আলী আকবরের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মুছা চৌধুরী.ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কারিগরি সমিতির সভাপতি মোজাম্মেল হক. সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব সরকার. কর্মচারী সমিতির সভাপতি সারওয়ার হোসেন.সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।
1,572,960
2019-01-02
দেখে মনে হলো অনেক দিনের চেনা
null
রহমান মৃধা. সুইডেন থেকে
https://www.prothomalo.com/durporobash/article/1572959/%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%96%E0%A7%87-%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%87-%E0%A6%B9%E0%A6%B2%E0%A7%8B-%E0%A6%85%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%95-%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%9A%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A6%BE
durporobash
online
1
null
অর্থ আছে শর্ত নেই। দেহ আছে কিন্তু তার দেখা নেই। ইচ্ছে আছে উপায় নেই। সে কোন জাতি? সে এক বোরকার মধ্যে লুকিয়ে থাকা আরবের নারী জাতি।ঘুরে এলাম সংযুক্ত আরব আমিরাত। দেখে এলাম পরিবর্তনের রংধনু। আরব উপদ্বীপে পারস্য উপসাগরের দক্ষিণ-পূর্বে ও ওমান উপসাগরের উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত একটি দেশ। সংযুক্ত আরব আমিরাত সাতটি আমিরাত নিয়ে গঠিত। এটি একটি যুক্তরাষ্ট্র হিসেবে ১৯৭১ সালের ২ ডিসেম্বর প্রতিষ্ঠিত হয়। সাতটি আমিরাতের মধ্যে ছয়টি (আবুধাবি. দুবাই. শারজাহ. আজমান. উন্মুল কুয়াইন ও ফুজিরা) ওই দিন সংযুক্ত হয়। সপ্তমটি রাস-আল-খাইমা ১৯৭২ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রে যোগদান করে।উনিশ শতকে ব্রিটিশদের স্বাক্ষরিত একটি চুক্তি অনুসারে সাতটি রাষ্ট্র পূর্বে চুক্তিবদ্ধ রাষ্ট্র নামে পরিচিত ছিল। সাতটি মরুভূমির সমন্বয়ের এই দেশটি গড়ে উঠতে শুরু করেছে সম্পূর্ণ আউট সোর্সের মধ্য দিয়ে। মরুভূমিতে শহরের পর শহর. রাস্তার পর রাস্তা তৈরি করে তারা দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। সভ্য মানবজাতির বসতবাড়িতে যা কল্পনা করতেও সাহস হারিয়ে ফেলার কথা। আর হচ্ছে এ জাতির অর্থনৈতিক ও মানসিক পরিবর্তন। তবে আরব আমিরাতের মানুষের মনুষ্যত্বের পরিবর্তন কতটা উন্নতির দিকে তা বলতে পারব না। তবে যা দেখে এলাম তার বর্ণনা দিতে চেষ্টা করব।দেশটির নারী জাতি বাস করছে দিন-দুপুর. জাগরণ. আচরণ ও সাগরের ভ্রমণে কালো বোরকার ভেতরের এক অন্ধকার রাজ্যে। ম্যান ডমিনেটেড বা পুরুষের রাজ্যে নারীর বাস নারী জাতির সর্বনাশ। তারপরও নারী জাতি ঘর থেকে বের হতে শুরু করেছে। তাদের পথচলা এখন শহর. সাগর. হোটেল ও রেস্টুরেন্টে দেদারসে লক্ষণীয়। তবে মানবের চেহারাতে নয়. বোরকার ভেতরে এক চলমান দৃশ্য যা অন্ধকারাচ্ছন্ন পোশাকে ঢাকা। আমার ভ্রমণের সময়টুকু ছিল তাদের ছেলেমেয়েদের স্কুল-কলেজের ছুটির সময়। তাই তারাও ছুটিতে এসেছিল একই হোটেলে যেখানে আমাদের সময় কেটেছে। তাই দেখেছি তাদের জীবনযাপন কাছ থেকে দুরে. বহু দুরে। সারা বিশ্বের নরনারী যখন খোলামেলা সূর্যের কিরণে সাগরে সাঁতার কাটছে বিকিনি পরে ঠিক তখন তারা সাগরের পাড়ে পায়চারি করছে কালো পর্দার আড়ালে বোরকার তলে। আরবের নারীরা দেখছে সারা পৃথিবী. দেখছে অন্য পুরুষ–নারীর দেহ। কিন্তু নিজেদের দেখাচ্ছে কালো কাপড়ে ঘেরা এক চলমান জীব হিসেবে। আমাদের ভ্রমণের শেষের দিন। রেডিসন ব্লু হোটেলে রাতের ডিনার একটু তাড়াতাড়ি শেষ করেছি। আমি আর আমার সহধর্মিণী মারিয়া হাঁটতে বেরিয়েছি সাগরের পাড়ে। চাঁদের কিরণ এত সুন্দর রূপ ধারণ করেছে যে. তার জ্যোৎস্নাতে অন্ধকার আলোই পরিণত হয়েছে। মরুভূমির দেশে হোটেলের চারপাশে গড়ে তুলেছে সবুজে ভরা এই প্যারাডাইজ হোটেল। সুন্দর ঘাসের ওপর পার্সিয়ান কার্পেটের বিছানাতে বোরকা পরা এক নারী বসে আছেন। সুন্দর করে সাজিয়েগুছিয়ে এক পিকনিকের সমন্বয়ে। যা বেশ দূর থেকেই আমাদের নজরে পড়েছে। পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় হঠাৎ শব্দ শুনতে পেলাম. ‘প্লিজ কাম অ্যান্ড জয়েন উইথ মি’। প্রথমে বিশ্বাস করতেও অবিশ্বাস লাগছিল। পরে মারিয়া বলে. না. মহিলা আমাদের বলছে। দাঁড়িয়ে গেলাম শান্ত হয়ে। ভদ্রমহিলা সন্ধ্যার চা–কফির আয়োজন করছেন তার আর চারজন বান্ধবীর জন্য। আমাকে মারিয়ার সঙ্গে কয়েকবার দেখেছেন সাগরের পাড়ে। দেখেছেন হোটেলের লবিতে। দেখেছেন ব্রেকফাস্ট ও সন্ধ্যার ডিনারে। আজ জ্যোৎস্না রাতে হঠাৎ পথে দেখা হতে তার কৌতূহল ও সাহসের পরিচয়. এই আকস্মিক নিমন্ত্রণ। বসে গেলাম দুজনে। শুরু হলো কথা। হাজারো প্রশ্ন। ভেবেছিলাম আমিই হয়তো তাদের নিয়ে ভেবেছি। ওমা! তিনি তো দেখি আমার থেকে আরও বেশি ভেবেছেন। কয়েক মিনিট শুধু তিনি একা। কিছুক্ষণ পরে তার বান্ধবীরা এসে তিনি হয়ে গেলেন তারা। তার অন্য চার বান্ধবীও এসে হাজির ও আমাদের পরিচয় পর্ব শেষ হলো। মারিয়ার মুখে স্লামালাইকুম শুনে তারা হয়েছিলেন আপ্লুত। প্রসঙ্গে জিজ্ঞেস করলাম তাদের পরিচয়। তারা সবাই বিবাহিত ও স্বামীদের সঙ্গে ছুটিতে এসেছেন। বয়সে আমাদের ছোট হবেন। আজ সন্ধ্যায় তারা প্ল্যান করেছেন বান্ধবীরা মিলে জ্যোৎস্না রাতে চা কফির আড্ডা দেবেন। ওদিকে তাদের স্বামীরা বেলি ড্যান্স দেখতে শহরে গিয়েছেন। হায়রে আরব জাতি! রেখেছে অন্ধকারে ঢেকে নিজেদের নারীদের। অথচ দেখছে উজাড় করে পর নারীকে! অনেক কথা জানার ছিল. জানা হলো না। যতটুকু দেখলাম ও শুনলাম তাতে মনে হলো. তাদের দেহেও বইছে ভালোবাসার ঢেউ। তারাও বাঁচতে চান আমাদের মতো করে। তবে ম্যান ডমিনেটেড লাইফে সবকিছু সম্ভব নয় একদিনে। মনে পড়ে গেল. ‘রোম ওয়াজ নট বিল্ড ইন এ ডে’। চাঁদের জ্যোৎস্না রাতে আরবের এক মরুভূমিতে গালফ অব ওমানের পাড়ে হাতে চা তুলে দিতে চোখের পলক পড়েছিল সেদিন সেই রূপসী সুন্দরী নারীর মুখে। দেখে তারে মনে হলো. তিনি মনে মনে আমাদের ভালোবেসে ফেলেছেন তার বোরকা ঢাকা হৃদয়ের মাঝে। কথা বলতে আর কথা শুনতে কখন ঘণ্টা কেটে গেছে জানি না। হঠাৎ মেয়ে জেসিকা এসে হাজির। তাই লম্বা গল্প কমিয়ে চলে এলাম হোটেলে। সকালে আরলি ব্রেকফাস্ট শেষ করে সবকিছু গুছিয়ে লবিতে ব্যাগগুলো রেখে সাগরের পাড়ে দিনটা কাটিয়ে দিতে হবে। বিকেলে বাস এসে নিয়ে যাবে আমাদের দুবাই বিমানবন্দরে। সেদিনও আবার দেখা হয়েছিল সেই চার নারীর সঙ্গে। পাশ দিয়ে হেঁটে যেতে চুপি চুপি বলে গেলেন. হ্যাভ এ সেফ জার্নি. হোপ টু সি ইউ অ্যাগেইন’। ২৫ ডিসেম্বর সুইডেনে ফিরে এসেছি। সাংস্কৃতিক ও ভৌগোলিক কিছু পার্থক্য সত্ত্বেও আরব জাতির ভালোবাসা দেখে এলাম আরব আমিরাতে। ফুজিরার ছোট্ট একটি শহর নাম দিবা যেখানে গড়ে উঠেছে রেডিসন ব্লু হোটেল। গালফ অব ওমান সাগরের পাড়ে। সেদিন আধো রাতে হঠাৎ ঘুম ভাঙতেই মনে পড়ে গেল সুরাইয়ার কথা। যিনি চা-কফির আড্ডাতে নিমন্ত্রণ করেছিলেন চাঁদের জ্যোৎস্না রাতে. আমাকে আর আমার সহধর্মিণী মারিয়াকে। রহমান মৃধা: সুইডেন। ইমেইল: <Rahman.Mridha@gmail.com> [image/jpeg: image 1. jpeg]Attachments area
1,572,959
2019-01-02
রাগ করে কিছুই খাননি কাদের খান!
null
প্রতিনিধি. মুম্বাই
https://www.prothomalo.com/entertainment/article/1572958/%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%97-%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A6%95%E0%A6%BF%E0%A6%9B%E0%A7%81%E0%A6%87-%E0%A6%96%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%A8%E0%A6%BF-%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%96%E0%A6%BE%E0%A6%A8
entertainment
online
1
হলিউড
মৃত্যুর আগে খাওয়াদাওয়া একদম ছেড়ে দিয়েছিলেন হিন্দি চলচ্চিত্রের অত্যন্ত জনপ্রিয় অভিনেতা কাদের খান। মৃত্যুর আগে পাঁচ দিন কিছুই মুখে তোলেননি ৮১ বছরের এই অভিনেতা। এমনকি এক ফোঁটা পানিও না। বাড়ির খাবার ছাড়া কাদের খানের মুখে কিছু রোচে না। মৃত্যুর পাঁচ দিন আগে পর্যন্ত বাড়ির খাবার খেয়েছেন তিনি। কাদের খানের ছেলে সরফরাজের স্ত্রী সাহিস্তা নিজের হাতে রান্না করে শ্বশুরমশাইকে খাওয়াতেন। কিন্তু ডাক্তার পরে বাইরের খাবারের অনুমতি দেননি। কাদের খানকে হাসপাতালের খাবার খেতে বলা হয়। তখনই বেঁকে বসেন তিনি। হাসপাতালের খাবার খেতে একদম রাজি হননি। সাহিস্তার অনুরোধও রাখেননি। সাহিস্তা তাঁকে বারবার বোঝানোর চেষ্টা করেন. এই সময় খাবার খাওয়া কতটা জরুরি। কাদের খানের এক বন্ধু জানান. ‘মৃত্যুর আগের পাঁচ দিন শুধু খাবার নয়. এক ফোঁটা পানিও খাননি তিনি। তা সত্ত্বেও ১২০ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়েছেন। এমনটা সবার পক্ষে সম্ভব না।’ বাক্‌শক্তি না থাকায় কাদের খান চোখ দিয়ে সব প্রশ্নের জবাব দিতেন। চোখের অভিব্যক্তি দিয়ে দিয়ে বুঝিয়ে দেন. হাসপাতালের খাবার মোটেও মুখে তুলবেন না। গত ৩১ ডিসেম্বর কানাডার সময় অনুযায়ী সন্ধ্যা ছয়টায় শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন বলিউডের বরেণ্য অভিনেতা কাদের খান। দীর্ঘ দিন বার্ধক্যজনিত নানা অসুস্থতায় ভুগছিলেন তিনি। ১৭ দিন ধরে কানাডার একটি হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা চলছিল। মৃত্যুর আগে কোমায় চলে যান এই অভিনেতা। তাঁর ছেলে সরফরাজ খান বার্তা সংস্থা পিটিআইয়ের মাধ্যমে কাদের খানের মৃত্যুর খবর ঘোষণা দেন। সরফরাজ জানিয়েছেন ভারতে নয়. কানাডাতেই এই অভিনেতাকে দাফন করা হবে। প্রথমে তাঁর নিথর দেহটিকে মসজিদে নিয়ে যাওয়া হবে। জানাজার পর কাদের খানকে দাফনের প্রক্রিয়া শুরু হবে। এই বরেণ্য অভিনেতার প্রয়াণে হিন্দি চলচ্চিত্রের জগতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। অমিতাভ বচ্চন. অনুপম খের. অর্জুন কাপুর. বরুণ ধাওয়ানসহ অনেক তারকা টুইটারে শোক জানান। এমনকি রাজনীতিবিদেরাও কাদের খানের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং মোদি. রাহুল গান্ধী. স্মৃতি ইরানিসহ অনেকেই টুইট করেছেন।
1,572,958
2019-01-02
ভুল তথ্য দিয়েছেন ইসি সচিব
null
নিজস্ব প্রতিবেদক. ঢাকা
৫৩
https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1572957/%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%9A%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AB%E0%A6%B2-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A7%87-%E0%A6%97%E0%A6%A3%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A7%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%AE%E0%A7%87-%E0%A6%AD%E0%A7%81%E0%A6%B2-%E0%A6%A4%E0%A6%A5%E0%A7%8D%E0%A6%AF-%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A7%87%E0%A6%9B%E0%A7%87%E0%A6%A8-%E0%A6%87%E0%A6%B8%E0%A6%BF
bangladesh
online
1
নির্বাচন|সিইসি|একাদশ সংসদ নির্বাচন|জাতীয় পার্টি|আওয়ামী লীগ|নির্বাচন কমিশন
সদ্য শেষ হওয়া জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোন দল কত আসন পেয়েছে. সেই ঘোষণা দিতে গিয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ গণমাধ্যমে ভুল তথ্য দিয়েছেন। ৩১ ডিসেম্বর ভোরে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করতে গিয়ে হেলালুদ্দীন গণমাধ্যমকে বলেছেন. জাতীয় পার্টি (জাপা) সব মিলিয়ে ২০টি আসন পেয়েছে। বাস্তবে জাতীয় পার্টি পেয়েছে ২২টি আসন। এই তথ্য সংশোধন করে ইসি সচিবালয় থেকে এখন পর্যন্ত কোনো বিবৃতি দেওয়া হয়নি। এ বিষয়ে জানতে সচিব হেলালুদ্দীনকে ফোন দিলে তা ধরেন ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব সাইদুর রহমান। তিনি প্রথম আলোকে বলেন. ‘স্যার বিষয়টি নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। সেদিন তাড়াহুড়ো করে কাজ করতে গিয়ে এই ভুল হয়েছে। আসলে জাতীয় পার্টির আসনসংখ্যা হবে ২২।’ ৩০ ডিসেম্বর সংসদের ২৯৯টি আসনে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ওই দিন ইসি সচিবালয়ের কর্মকর্তারা সারা রাত জেগে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কাছ থেকে নির্বাচনের ফলাফল সংগ্রহ করেন। ইসি সচিবালয় সূত্র জানায়. সেদিন রাতে তাড়াহুড়ো করে কাজ করতে গিয়ে জাপার কাজী ফিরোজ রশীদ (ঢাকা-৬) ও ফখরুল ইমামকে (ময়মনসিংহ-৮) আওয়ামী লীগের সদস্য হিসেবে গোনা হয়েছে। যে কারণে জাপার আসন কমে ২০টি হয়ে যায়। নির্বাচনের ফলাফল বিবরণীতে দেখা যায়. ঢাকা-৬ আসনে কাজী ফিরোজ রশীদ ৯৩ হাজার ৫৫২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। এই আসনে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে দ্বিতীয় হয়েছেন গণফোরামের সুব্রত চৌধুরী পেয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ২৩ হাজার ৬৯০ ভোট। ময়মনসিংহ-৮ আসনে ফখরুল ইমাম পেয়েছেন ১ লাখ ৫৬ হাজার ৭৬৯ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী গণফোরামের এ এইচ এম খালেকুজ্জামান ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩৪ হাজার ৬৩ ভোট। একই দিন ফল ঘোষণা দিতে গিয়ে ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আওয়ামী লীগের আসনসংখ্যাতেও ভুল করেছেন। তিনি বলেছেন. আওয়ামী লীগ পেয়েছে ২৫৯টি আসন। বাস্তবে আওয়ামী লীগ পেয়েছে ২৫৭টি আসন। মূলত আওয়ামী লীগকে দুটি আসন বাড়িয়ে দেওয়ার কারণেই জাতীয় পার্টির দুটি আসন কমে যায়। এ বিষয়েও ইসি সচিবালয় থেকে কোনো ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি। এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সব মিলিয়ে ২৬০টি আসনে প্রার্থী মনোনয়ন দেয়। দলটি হেরেছে তিনটি আসনে। আওয়ামী লীগের পরাজিত তিন প্রার্থী হলেন—জিয়াউর রহমান (চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২). আবদুল ওদুদ (চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩) ও কাজী জাফর উল্লাহ (ফরিদপুর-৪)। এই তিন আসনে জিতেছেন যথাক্রমে বিএনপির আমিনুল ইসলাম. হারুনুর রশীদ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মুজিবর রহমান চৌধুরী।
1,572,957
2019-01-02
টেন্ডুলকারের গুরু আচরেকার আর নেই
null
খেলা ডেস্ক
https://www.prothomalo.com/sports/article/1572956/%E0%A6%9F%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A1%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%81-%E0%A6%86%E0%A6%9A%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%86%E0%A6%B0-%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%87
sports
online
1
ক্রিকেট|শচীন টেন্ডুলকার|ভারত
৮৭ বছর বয়সে আজ মৃত্যুবরণ করেছেন শচীনের কোচ রামাকান্ত আর্চাকার। শচীন টেন্ডুলকারের গুরু রমাকান্ত আচরেকার আর নেই। আজ বুধবার মুম্বাইয়ে ৮৭ বছর বয়সে তিনি মৃত্যুবরণ করেছেন। তাঁর হাতেই ক্রিকেটের হাতেখড়ি হয়েছিল টেন্ডুলকারের। নিজেকে কিংবদন্তির কাতারে নিয়ে গিয়েও গুরুকে সব সময়ই মাথায় তুলে রেখেছিলেন তিনি। আচরেকারের আশীর্বাদধন্য হয়েই ২৪ বছর ধরে ক্রিকেট দুনিয়াকে শাসন করেছেন সর্বকালের অন্যতম সেরা এই ক্রিকেট তারকা। বিস্তারিত আসছে...
1,572,956
2019-01-02
‘সাব্বিরের শৃঙ্খলাও ঠিক থাকতে হবে’
null
ক্রীড়া প্রতিবেদক
https://www.prothomalo.com/sports/article/1572955/%E2%80%98%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B6%E0%A7%83%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%96%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%93-%E0%A6%A0%E0%A6%BF%E0%A6%95-%E0%A6%A5%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%B9%E0%A6%AC%E0%A7%87%E2%80%99
sports
online
2
ক্রিকেট|সাব্বির রহমান|বিপিএল টি২০
বিপিএল এবার অনেকের ফেরার মঞ্চ। বিতর্কে জড়িয়ে জাতীয় দলের বাইরে থাকা সাব্বির. নাসির. আল আমিনরা চেষ্টা করবেন এই টুর্নামেন্টে দারুণ কিছু করতে হারানো জায়গা ফিরে পেতে। এবার বিপিএলে সিলেট সিক্সার্স দলটা যা হয়েছে না! ড্রাফটের পর থেকেই এ নিয়ে বেশ রসিকতা হচ্ছে। বিতর্কে জড়িয়ে নানা সময়ে নিষিদ্ধ হওয়া অনেক ক্রিকেটার যে এই দলে। নাসির হোসেন. সাব্বির রহমান. আল আমিন হোসেন তো আছেনই। বহু আগে আইসিএলে নাম লিখিয়ে পথ হারানো অলক কাপালিও এই দলে। তাসকিন আহমেদের বিষয়টা নাসির-সাব্বিরের মতো ঠিক নয়। তবে তিনিও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট বেশ কিছু দিন খেলতে পারেননি বোলিং অ্যাকশন নিষিদ্ধ হওয়ায়। আর দলটা নেতৃত্ব দিচ্ছেন ডেভিড ওয়ার্নার. যিনি এখনো নিষিদ্ধ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। সব বিতর্কিত খেলোয়াড়দের সামলানো নিশ্চিত বড় এক চ্যালেঞ্জ সিলেট টিম ম্যানেজমেন্টের।কাল সাব্বিরকে অবশ্য বিতর্ক নিয়ে অনেক অপ্রিয় প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়েছে। আজ প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন বললেন. সাব্বিরের শুধু পারফরম্যান্স নয়. তাঁকে নজর দিতে হবে নিজের শৃঙ্খলার দিকেও. ‘সাব্বির রহমান নিষেধাজ্ঞা কাটিয়েছে অনেকটা। তাঁর খেলার চেয়ে বেশি নজর দিতে হবে নিজের প্রতি। ওর শৃঙ্খলা. এই দিকটিও ঠিক থাকতে হবে। সব দিকেই নজর দিতে হবে।’ ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশ দলের নিউজিল্যান্ড সফর। জিম্বাবুয়ে ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুটি হোম সিরিজের পারফরম্যান্স অনুযায়ী নিউজিল্যান্ড সফরের দল অনেকটা হয়েই আছে। বিপিএলের পারফরম্যান্সে এক-দুজনকে সুযোগ হতে পারে কি না. সেটি এখনো নিশ্চিত করে বলতে পারেননি মিনহাজুল. ‘টি-টোয়েন্টি সংস্করণ ও টেস্ট ক্রিকেটকে কখনো একসঙ্গে মেলানো যায় না। এটি আলাদা একটি ঘরোয়া টুর্নামেন্ট। যেহেতু এখানে অনেক আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারের সম্পৃক্ততা আছে কিছু কিছু ক্ষেত্রে অবশ্যই হিসাব করা হবে। কিন্তু টেস্ট ক্রিকেটের সঙ্গে এর তুলনা হবে না। তবে এখান থেকে আমাদের প্রস্তুতি শুরু হবে। ক্রিকেটারদের মনোভাব. পারফরম্যান্স সবকিছু দেখা হবে। সুতরাং প্রতিটি ম্যাচ খেলোয়াড়ের জন্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। সেটা যে সংস্করণই খেলুক।’মিনহাজুলের কথা. যে টুর্নামেন্ট বা যে সংস্করণই হোক. ভালো খেললে বিবেচনায় থাকবেন। সাব্বির. নাসির. তাসকিন কিংবা আল আমিন তাই বিপিএলকে দেখবেন ফেরার মঞ্চ হিসেবেই।
1,572,955