news_link
stringlengths 42
523
| head_lines
stringlengths 2
121
| article
stringlengths 1
58.1k
| tags
stringlengths 1
285
⌀ | image_caption
stringlengths 1
1.86k
⌀ | category
stringclasses 13
values |
---|---|---|---|---|---|
https://www.bd-pratidin.com/campus-online/2021/03/10/626910 | একদিনের জন্য চবি উপাচার্য হচ্ছেন মহীবুল আজিজ | চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের ডিন ও বাংলা বিভাগের জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মহীবুল আজিজকে উপাচার্যের রুটিন দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। আগামী ২৯ এপ্রিল তাকে অতিরিক্ত এই দায়িত্ব পালন করতে বলা হয়েছে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতারকে পুনরায় নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তবে তার বর্তমান চাকরির বয়সপূর্তিতে অবসর গ্রহণের দিন উপাচার্যের রুটিন দায়িত্ব পালন করবেন বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. মহীবুল আজিজ। এক দিনের জন্যই এই দায়িত্ব পালন করবেন তিনি। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান উপচার্য অধ্যাপক শিরীণ আখতারকে পুনরায় উপচার্য পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকালে (৯ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শিরীণ আখতারকে পুনরায় উপাচার্য পদে নিয়োগ করা হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সরকারি সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার উপসচিব নূর-ই-আলম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই নিয়োগ দেওয়া হয়. তবে এতে নিয়োগের কোন সময়সীমা উল্লেখ করা হয়নি। অফিস আদেশে বলা হয়, মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলরের অনুমোদনক্রমে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর ড. শিরীণ আখতারকে নিয়মিত চাকরির বয়সপূর্তিতে অবসর গ্রহণের আনুষ্ঠানিকতা সম্পাদনের জন্য আগামী ২৯ এপ্রিল পূর্বাহ্নে তার মূল কর্মস্থল বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে প্রত্যাবর্তনপূর্বক একই দিন অপরাহ্নে ভাইস চ্যান্সেলর পদে যোগদানের অনুমতি এবং ভাইস চ্যান্সেলর ড. শিরীণ আখতার এর অনুপস্থিতিতে কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের ডিন ও বাংলা বিভাগের জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক ড. মোহম্মদ মহীবুল আজিজকে নিজ দায়িত্বের অতিরিক্ত ভাইস চ্যান্সেলরের রুটিন দায়িত্ব পালনের অনুমতি প্রদান করা হলো। বিডি-প্রতিদিন/সিফাত আব্দুল্লাহ | null | ড. মোহাম্মদ মহীবুল আজিজ | education-career |
https://samakal.com/bangladesh/article/2205110969/বিমান-টিকিট-নিয়ে-জালিয়াতি-গ্রেপ্তার-১ | বিমান টিকিট নিয়ে জালিয়াতি, গ্রেপ্তার ১ | বিমানের টিকিট জালিয়াতির অভিযোগে মাহবুব উর রশিদ নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। তার এক সহযোগী বসবাস করেন দুবাইয়ে। চক্রটি যাত্রীর জন্য বিমান টিকিট কেটে পরবর্তীতে সেই টিকিট ফেরত দিয়ে টাকা হাতিয়ে নেয়। বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। এতে জানানো হয়, বুধবার রাতে রাজধানীর কলাবাগানে গ্রিন রোডের একটি বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় মাহবুবকে। তার কাছ থেকে বিভিন্ন এয়ালাইন্সের ৮১টি ভুয়া টিকিট, প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত দুইটি মোবাইল ফোন, দুইটি কম্পিউটার, একটি কালো রংয়ের জীপগাড়ি, ১২টি বিভিন্ন ব্যাংকের চেক জব্দ করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, বেশ কিছু ট্রাভেলিং অ্যান্ড ট্যুর এজেন্সি মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ, উত্তর আমেরিকা ও আফ্রিকার দেশগুলোতে যাওয়ার জন্য বিমানের টিকেট আগাম বিক্রি করছে। যাত্রীরা সেখান থেকে টিকিট নিয়ে বিদেশে যেতে পারছেন না। বিমানবন্দরে যাওয়ার পর জানতে পারেন, টিকিট ভুয়া। চক্রের অন্যতম হোতা মাহবুব। সাদ নামে তার এক সহযোগী আছেন দুবাইয়ে। দেশেও তার সহযোগী রয়েছেন। যাত্রীকে বিমানের টিকিট দেওয়ার পর ফ্লাইটের আগে যাত্রীকে না জানিয়ে কিছু জরিমানা দিয়ে সেই টিকিট ফেরত দিয়ে টাকা তুলে নিতেন মাহবুব। নির্দিষ্ট দিনে যাত্রী বিমানবন্দরে হাজির হয়ে ই-টিকিট ও পাসপোর্ট দেওয়ার পর এয়ারলাইন্সের লোকেরা বলেন, ই-টিকিটের বুকিং ঠিক ছিল, কিন্তু বুকিং দেওয়ার টাকা রিফান্ড করে তুলে নেওয়া হয়েছে। বিদেশ যেতে না পেরে ফেরত আসতে হয় যাত্রীকে। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, মাহবুব দীর্ঘদিন ধরে নানা উপায়ে মানুষের কাছ থেকে প্রতারণা করে আসছেন। প্রতারণার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়েছে। গ্রেপ্তারও হয়েছেন কয়েকবার। তার গ্রেপ্তারের খবর পেয়ে বুধবার ১৭ জন ভুক্তভোগী ডিবিতে যোগাযোগ করেছেন, যারা বিমান টিকিট কেনার পর প্রতারিত হয়েছিলেন। | বিমান,জালিয়াতি,গ্রেপ্তার,গোয়েন্দা পুলিশ | গ্রেপ্তার মাহবুব উর রশিদ | national |
https://www.prothomalo.com/bangladesh/district/হিজাব-না-খুলে-বায়োমেট্রিক-পদ্ধতি-ব্যবহারের-দাবিতে-মানববন্ধন | হিজাব না খুলে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি ব্যবহারের দাবিতে মানববন্ধন | বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষাসহ সরকারি ও বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠানে হিজাব খুলে কান বের করে ছবি দেওয়ার পরিবর্তে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি ব্যবহারের দাবি জানিয়েছেন কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন ছাত্রী। সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে মানববন্ধন করে তাঁরা এ দাবি জানান। মানববন্ধনে ২০ থেকে ২৫ জন ছাত্রী অংশ নেন। ছাত্রীরা 'হিজাব আমার সত্তার অংশ, পর্দা করা আমার সংবিধানিক অধিকার', 'কান দেখানো ছবি নয়, বায়োমেট্রিকে সব হয়', 'কান দেখিতে চাহিয়া লজ্জা দিবেন না', 'বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে জাতীয় পরিচয়পত্র কেন নয়?'এ রকম বিভিন্ন স্লোগান লেখা প্ল্যাকার্ড হাতে মানববন্ধনে অংশ নেন। মানববন্ধনে ছাত্রীরা বলেন, মেয়েদের পর্দা করার কারণে বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাঁরা বাধার সম্মুখীন হন। চাকরির সাক্ষাৎকারে গেলে তাঁদের হিজাব খুলে মুখ দেখাতে হয়, তখন তাঁরা বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েন। চাকরি বা সরকারি সেবা নিতে যদি ধর্মীয় বিধান লঙ্ঘন করতে হয়, তাহলে ধর্মীয় স্বাধীনতা কোথায়? এই নিয়ম বাতিল করে হিজাব-নিকাব মেনে চলা মেয়েদের জন্য বায়োমেট্রিক পদ্ধতির ব্যবহার করতে হবে। সাইয়েদা হুমায়রা নামের এক ছাত্রী বলেন, 'আমরা চাই যেসব মেয়ে হিজাব-নিকাব পরিধান করে, তাদের জন্য যেন বিকল্প বায়োমেট্রিক পদ্ধতি ব্যবহার করে সব ক্ষেত্রে অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া হয়। জাতীয় পরিচয়পত্র, ব্যাংক হিসাবসহ রাষ্ট্রীয় সব সুবিধা যেন নিশ্চিত করা হয়।' | খুলনা বিভাগ,ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়,শিক্ষা,মানববন্ধন,কুষ্টিয়া | মানববন্ধনে ২০ থেকে ২৫ জন ছাত্রী অংশ নেন। সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে | national |
https://samakal.com/bangladesh/article/18101635/শিশুরাই-বঙ্গবন্ধুর-সোনার-বাংলা-গড়বে-প্রধানমন্ত্রী | আজকের শিশুরাই বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়বে: প্রধানমন্ত্রী | শিশুদের দেশের ভবিষ্যৎ উল্লেখ করেপ্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাআশা প্রকাশ করেছেন, তারাই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলবে। শুক্রবার বিকেলে গণভবনে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে অনুষ্ঠিত চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতাকালে তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন। খবর বাসসের প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আজকের শিশুরাই বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ এবং আমি আশা করি তারা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ে তুলবে।' জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি ট্রাস্ট জাতির পিতার ৯৬, ৯৭ ও ৯৮তম জন্মদিন উপলক্ষে এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। ট্রাস্টের চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা শিক্ষার উন্নয়নে তার সরকারের গৃহীত পদক্ষেপসমূহ তুলে ধরে বলেন, 'দেশকে এগিয়ে নিতে এবং আগামী প্রজন্ম যাতে দেশের সুশিক্ষিত নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে পারে সেজন্য আমরা শিক্ষার ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছি।' তিনি বলেন, 'আমরা চাই সকল শিশু তাদের শিক্ষা অব্যাহত রাখুক। আর তাই আমরা প্রাক-প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করছি এবং তাদের বৃত্তি ও উপবৃত্তি দিচ্ছি।' তার সরকার বঙ্গবন্ধুর পদাঙ্ক অনুসরণ করে ২৬ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'আমরা শিক্ষার উন্নয়নে দেশের প্রতিটি উপজেলায় সরকারি কলেজ ও স্কুল প্রতিষ্ঠা করছি।' বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর ছয় বছরের শরণার্থী জীবনের কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ওই সময় তিনি এবং তার বোনকে দেশে আসতে দেয়া হয়নি। তিনি বলেন, 'অনেক বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে যখন আমরা দেশে আসলাম তখন আমাদের ঐতিহাসিক ধানমণ্ডি ৩২ এর বাড়িতে ঢুকতে দেয়া হয়নি।' প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা ধানমণ্ডির বাড়িকে বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে পরিণত করেছেন এবং জাতির পিতার নামে একটি স্ট্রাস্ট গঠন করেছেন। তিনি বলেন, 'আমরা এই ফান্ড থেকে ১৭শ' দরিদ্র অথচ মেধাবী শিশুকে বৃত্তি দিচ্ছি এবং ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলায় হতাহতদের সহায়তা দিচ্ছি।' প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার শিশুদের গান ও চিত্রাঙ্কনের মত খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে উৎসাহ দিচ্ছে যাতে তাদের মেধা ও চিন্তা-চেতনা সঠিকভাবে বিকশিত হয়। বাংলাদেশকে ২০২১ সালের মধ্যে একটি মধ্য আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে একটি সমৃদ্ধ ও উন্নত দেশে পরিণত করার সংকল্প পুনর্ব্যক্ত করে তিনি বলেন, 'আগামী শতাব্দীতে বাংলাদেশকে সবচেয়ে উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে এবং আগামী প্রজন্মকে একটি সমৃদ্ধ ও সুন্দর জীবন উপহার দিতে আমরা বদ্বীপ পরিকল্পনা-২১০০ প্রণয়ন করেছি।' প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার ২০২০-২১ সালকে মুজিব বর্ষ ঘোষণা করেছে এবং এই বর্ষকে যথাযথ মর্যাদায় উদযাপন করার প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করতে সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সভাপতি শিল্পী হাশেম খান, স্বাগত বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু স্মৃতি স্ট্রাস্টের সদস্য সচিব শেখ হাফিজুর রহমান। স্মৃতি স্ট্রাস্টের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাশুরা হোসেন ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমীন চৌধুরী, মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, সংসদ সদস্য এবং বেসামরিক ও সামরিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। এর আগে প্রধানমন্ত্রী প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার ও সনদ বিতরণ করেন। | প্রধানমন্ত্রী,শেখ হাসিনা | অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাফোকাস বাংলা | national |
https://www.ajkerpatrika.com/165647/%E0%A6%9C%E0%A6%A8%E0%A6%AC%E0%A6%B2-%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%95%E0%A6%9F%E0%A7%87-%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A6%AC%E0%A6%BE-%E0%A6%AA%E0%A7%87%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%AD%E0%A7%8B%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF | জনবল-সংকটে সেবা পেতে ভোগান্তি | ভারতের মেঘালয় সীমান্তঘেঁষা উপজেলা হালুয়াঘাট। উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার মানুষের ভরসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। ২০১১ সালের ২০ সেপ্টেম্বর ৩১ শয্যাবিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ৫১ শয্যায় উন্নীত করা হয়। তবে শয্যা বাড়লেও বাড়েনি জনবল। এতে চিকিৎসা নিতে এসে ভোগান্তিতে পড়ছেন সাধারণ মানুষ। তাঁদের দাবি, জনবল বৃদ্ধি করে দ্রুত পূর্ণাঙ্গ সেবা চালু করা হোক।স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ জানায়, সীমান্তের এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সরকার সৃষ্ট পদ রয়েছে ১৭৯টি। অথচ কর্মরত রয়েছেন ১৩০ জন। তাঁদের মধ্যে ডেপুটেশনে রয়েছেন ১৩ জন। এ ছাড়া গুরুত্বপূর্ণ ৪৯টি পদ শূন্য। এতে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে সেবা নিতে আসা হাজারো মানুষকে। হাসপাতালে প্রয়োজনীয় কিছু মেশিন থাকার পরও জনবলের অভাবে তা চালু করতে পারছে না কর্তৃপক্ষ। ফলে বেসরকারি পর্যায়ে বাড়তি টাকা গুনতে হচ্ছে রোগীদের।আরও জানা গেছে, ২০০১ সালে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে একটি এক্স-রে মেশিন দেওয়া হয়। চার বছর পর ২০০৫ সালে সেটির কার্যক্রম শুরুর উদ্যোগ নেয় কর্তৃপক্ষ। তবে বিদ্যুতের লো ভোল্টেজের কারণে সচল হয়নি সেটি। এখনো চালু হয়নি এক্স-রে মেশিনটি। এদিকে প্রয়োজনীয় জনবল না থাকায় ও সংযোগ সমস্যায় বন্ধ রয়েছে ইসিজি ও আলট্রাসনোগ্রামও।এ ব্যাপারে স্টোরকিপার মাহবুব আলম জানান, হাসপাতালের এক্স-রে ও আলট্রাসনোগ্রাম মেশিন সংযোগ ত্রুটিতে দীর্ঘদিন ধরে অচল রয়েছে। ইসিজি মেশিন তিনটার মধ্যে একটি অন্তর্বিভাগে, একটি জরুরি বিভাগে, আরেকটি স্টোরে মজুত রয়েছে। ফটোথেরাপি মেশিন একটি, অটোক্লেভ হাই প্রেশার মেশিন তিনটির মধ্যে সচল দুটি। আরেকটি স্থাপন করা হয়নি। প্রয়োজনীয় কিছু মেশিন সচল থাকলেও জনবলের অভাবে কাজে লাগানো যাচ্ছে না বলেও জানান তিনি।এদিকে বন্ধ রয়েছে জরুরি প্রসূতি সেবা ও সিজার অপারেশন কার্যক্রম। জরুরি প্রসূতি সেবা বিভাগের ইনচার্জ ও জ্যেষ্ঠ স্টাফ নার্স জেসমিন মান্দা বলেন, 'গর্ভবতীদের নরমাল ডেলিভারিতে কোনো সমস্যা হয় না। যখন কোনো গর্ভবতীর সিজারের প্রয়োজন হয়, তখন অন্য হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সিজার করার মতো প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ থাকার পরও জনবল না থাকায় এ কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এতে গর্ভবতী মায়েদের ঝুঁকি নিয়ে অন্য হাসপাতালে সিজার করাতে হচ্ছে। দ্রুত জনবল নিয়োগ না দিলে দীর্ঘদিনের এ সব যন্ত্রাংশ নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও তিনি জানান।কয়েকজন রোগী ও তাঁদের স্বজন অভিযোগ করেন, কর্তৃপক্ষের অবহেলায় প্রকৃত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সাধারণ মানুষ। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডিউটির সময়েও কিছু চিকিৎসক বাইরের ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এক্স-রে ও আলট্রাসনোগ্রামসহ বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষায় ব্যস্ত থাকেন। এ সময় তাঁরা জনবল বৃদ্ধি, এক্স-রে ও আলট্রাসনোগ্রামসহ অন্যান্য মেশিন দ্রুত চালু করে রোগীদের সেবাদানে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন।এ বিষয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) সৈয়দা তানজিনা আফরিনা ইভা বলেন, 'হালুয়াঘাট সীমান্ত এলাকা হওয়ায় এখানে অনেক সুযোগ-সুবিধা নেই। এ জন্য কোনো চিকিৎসক থাকতে চান না। আসলেও চলে যেতে চান। এ জন্য আমরা চিকিৎসক সংকটে আছি। কর্মরত যে কয়েকজন চিকিৎসক আছি, আমরা চেষ্টা করছি মানুষের পাশে দাঁড়াতে।'জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মুনির আহমদ বলেন, 'স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গুরুত্বপূর্ণ ৪৯টি পদ শূন্য রয়েছে। দীর্ঘদিন এক্স-রেসহ আলট্রাসনোগ্রাম মেশিন বিকল রয়েছে। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।' | ময়মনসিংহ জেলা,চিকিৎসা,ময়মনসিংহ বিভাগ,হালুয়াঘাট,স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স,ভোগান্তি,ময়মনসিংহ,ছাপা সংস্করণ,মানুষ,ময়মনসিংহ সংস্করণ,আজকের ময়মনসিংহ | হালুয়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভবন। | national |
https://www.prothomalo.com/entertainment/tv/নাটকে-সিনেমার-পূর্ণিমা-গানের-তাহসান | নাটকে সিনেমার পূর্ণিমা, গানের তাহসান | 'পূর্ণিমার সিরিয়াস কমেডি, দারুণ। আগে থেকেই সেটা জানতাম। কিন্তু তাঁর ভেতরে যে রসবোধ তা বুঝেছি একটি অনুষ্ঠানের উপস্থাপক হিসেবে তাঁকে দেখে।' পূর্ণিমাকে নিয়ে কথাটি বলছিলেন গায়ক তাহসান। দুজনকে একসঙ্গে দেখা যাবে এক ঘণ্টার একটি নাটকে। ১৭ ডিসেম্বর ভালো বাসাবাসি নামের সেই নাটকটির জন্য শুটিং করেছেন তাহসান ও পূর্ণিমা। একাধিক নাটকে অভিনয় করলেও গায়ক হিসেবেই তাহসানের পরিচিতি বেশি। অন্যদিকে নাটক, উপস্থাপনার বাইরে পূর্ণিমা একজন চলচ্চিত্র অভিনেত্রী। পূর্ণিমা বললেন, 'তাহসানের বেশ কয়েকটি গান আমার পছন্দ। তিনি অভিনয়ও ভালো করেন। তাঁর সঙ্গে আগেই কাজের ইচ্ছা ছিল। কিন্তু ব্যাটে-বলে মেলেনি। হয়তো আমাদের দুজনকে নিয়ে কেউ ভাবেননি। এবার সাগর জাহান ভেবেছেন।' পূর্ণিমাকে নিয়ে তাহসান বলেন, 'একটি অনুষ্ঠানে তাঁর উপস্থাপনা দেখার পর তাঁর সঙ্গে কাজ করতে ইচ্ছে হলো। সবচেয়ে বড় কথা, শুটিংয়ে সংলাপ দেওয়ার সময় টাইমিং খুবই শক্তিশালী পূর্ণিমার।' 'ভালো বাসাবাসি' নাটকটি রচনা ও পরিচালনা করেছেন সাগর জাহান। তিনি জানান, কেবল এক দিনের শুটিং হয়েছে। পূর্ণিমা কিছুটা অসুস্থ বলে শুটিং বন্ধ আছে। বাকি কাজ এ মাসেই শেষ হবে। | টেলিভিশন,তাহসান,বাংলা নাটক | ভালো বাসাবাসি নাটকের শুটিংয়ের ফাঁকে পূর্ণিমা ও তাহসান। ছবি: সংগৃহীত | entertainment |
https://www.bhorerkagoj.com/2020/06/03/%e0%a6%af%e0%a7%81%e0%a6%95%e0%a7%8d%e0%a6%a4%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%b7%e0%a7%8d%e0%a6%9f%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a7%87-%e0%a6%aa%e0%a7%81%e0%a6%b2%e0%a6%bf%e0%a6%b6-%e0%a6%95%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%a4/ | যুক্তরাষ্ট্রে ফ্লয়েড হত্যায় মেনন-বাদশার নিন্দা | মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে শেতাঙ্গ পুলিশ কতৃক জর্জ ফ্লয়েড নামের একজন মধ্যবয়সী ব্যক্তিকে হত্যার নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি। বুধবার (৩ জুন) এক বিবৃতিতে পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এমপি ও সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা এমপি এ নিন্দা জানান। বিবৃতিতে তারা বলেন, আমেরিকায় শেতাঙ্গ কর্তৃক অন্য বর্ণের মানুষ হত্যা নতুন কোনো ঘটনা নয়। ফ্লয়েডের হত্যাকান্ড আরো একবার সেখানে কৃষ্ণাঙ্গ ও সংখ্যালঘুদের উপর শেতাঙ্গ পুলিশের নির্মম অত্যাচারের বিষয়টি উলঙ্গ প্রকাশ মাত্র। ঘটনা দৃষ্টে মনে হয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে উগ্র বর্ণবাদী শেতাঙ্গ মনোবৃত্তির উত্থান ঘটেছে। তারা বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ভ্রান্ত নীতি এই হিংসাক্তক ঘটনা তৈরীতে মদদ যোগাচ্ছে। এমনিতেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কৃষ্ণাঙ্গ ও সংখ্যা লঘুরা বর্ণবৈষম্য ও জাতি বিদ্বেসের শিকার। ট্রাম্পের গৃহিত পদক্ষেপের কারনে শেতাঙ্গ ব্যতিত অন্য সকলের মানবধিকার হুমকির সম্মুখিন। তারা বলেন, এই নির্যাতন নিপিড়নের বিরুদ্ধে জনগনের প্রতিবাদ-প্রতিরোধ শুরু হয়েছে ; 'কষ্ণাঙ্গদের জীবনও মূল্যবান' নামে চলমান আন্দোলন দমনে ট্রাম্প প্রশাসন নির্যাতন নিপিড়নের পথে হাঁটছে। বিবৃতিতে তারা, দমন নিপিড়ন বন্ধ করে আমেরিকার কষ্ণাঙ্গ, সংখ্যালঘু ও অভিবাসীদের জীবন, জীবিকা নিশ্চিত করা এবং বর্ণবৈষম্য অবসানের আহ্বান জানান। | null | ওয়ার্কার্স পার্টি | national |
https://www.prothomalo.com/bangladesh/নৈরাজ্য-ও-অপচেষ্টার-অপরাধে-অপরাধী-বিএনপি-তথ্যমন্ত্রী | নৈরাজ্য ও অপচেষ্টার অপরাধে অপরাধী বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী | তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেছেন, নৈরাজ্য সৃষ্টিতে যুক্ততা ও অপরাধীদের আড়াল করার অপচেষ্টার দুই অপরাধে অপরাধী বিএনপি। মন্ত্রী আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডের বাসভবনে সীমিতসংখ্যক সাংবাদিকদের সমসাময়িক বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন। হাছান মাহমুদ বলেন, মির্জা ফখরুল সাহেবরা নৈরাজ্যকারীদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে এক অপরাধ করেছেন, আবার এখন সেই অপরাধীদের আড়াল করার অপচেষ্টা করে আরেকটা অপরাধ করছেন। দুই অপরাধেই বিএনপি অপরাধী। বিএনপির দায়িত্বহীন রাজনীতি এবং অপরাধীদের লালন-পোষণের কারণেই এই সব অপশক্তি মাথাচাড়া দেওয়ার সুযোগ পায় বলে উল্লেখ করেন তিনি। বিরোধী দলেরও দেশের প্রতি দায়িত্ব আছে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বিএনপির উদ্দেশে বলেন, 'আমি অনুরোধ জানাব, কোনো ভুল দেখলে গঠনমূলক সমালোচনা করুন, কিন্তু দায়িত্বশীল পদে থেকে দায়িত্বহীনের মতো কথা বলবেন না।' হাছান মাহমুদ বলেন, নৈরাজ্যের ঘটনাগুলো কারা ঘটিয়েছে, তা পত্রপত্রিকাসহ সব গণমাধ্যমে আছে। দেশের পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার চক্রান্ত হেফাজতে ইসলামের বর্তমান নেতৃত্বের ব্যানারে এই সব ঘটানো হয়েছে। আর এদের মদদ দিয়েছে বিএনপি ও জামায়াত, যার প্রকৃষ্ট প্রমাণ হচ্ছে বিএনপির নিপুণ রায়ের ফোনালাপ। আর নিপুণ রায়ের ফোনালাপ দিবালোকের মতো স্পষ্ট, এটিকে বানানো বলা মির্জা ফখরুল সাহেবের বানোয়াট কথাবার্তারই পুনরাবৃত্তি মাত্র। করোনা পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, সবাই পূর্ণ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার মাধ্যমেই করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। | তথ্যমন্ত্রী,রাজনীতি,বাংলাদেশ | তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ | politics |
https://www.bd-pratidin.com/country/2022/06/12/778361 | গানের প্রতিযোগীতায় মাহাদির ২য় স্থান অর্জন | জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ-২০২২ এ অনুষ্ঠিত গানের প্রতিযোগীতায় এবার ২য় স্থান অর্জন করেছে মাহদি বিন মনির সৌদ। ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত এ গানের প্রতিযোগীতায় মাহদি প্রথম স্থান অর্জন করেছিল।। গত ৬ জুন ঢাকায় এই প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত হয়। মাহদি মানিকগঞ্জের পুলিশ পরিদর্শক ( সিআইডি) মোঃ মনির হোসেনের একমাত্র সন্তান। সে লেখাপড়ার পাশাপাশি গানেও সাফল্যতা অর্জন করে চলছেন। তার মা উম্মে কুলসুম একজন গৃহিনী।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ | প্রতিযোগীতা, অর্জন | মাহদি বিন মনির সৌদ। | national |
https://www.bhorerkagoj.com/2021/03/10/%e0%a6%ac%e0%a6%99%e0%a7%8d%e0%a6%97%e0%a6%ac%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a7%e0%a7%81%e0%a6%b0-%e0%a6%9c%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%ae%e0%a6%b6%e0%a6%a4%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%b7-8/ | বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও সুবর্ণজয়ন্তীতে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা | বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনে অংশ নিতে বাংলাদেশে আসবেন ৪টি দেশের সরকার প্রধান। তাই, বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামন খান কামাল। বুধবার (১০ মার্চ) দুপুরে সচিবালয়ে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানে নিরাপত্তা সংক্রান্ত আইনশৃঙ্খলা সভা শেষে তিনি একথা বলেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনে ১৭ মার্চ থেকে শুরু হয়ে ২৬ মার্চ পর্যন্ত রাষ্ট্রীভাবে দশ দিনের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। উদযাপনের কেন্দ্রবিন্দু হবে জাতীয় প্যারেড স্কয়ার। এ উদযাপনে অংশ নিতে ভারত, শ্রীলঙ্কা, নেপাল ও মালদ্বীপ এই চারটি দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা অংশ নেবেন। যেসব বিদেশি অতিথিরা অংশ নেবেন, প্রত্যেকেরই করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট নিশ্চিত করা হবে। প্রথম চার দিন স্বশরীরে ও পরের ৬ দিন ভার্চুয়ালি উদযাপন করা হবে। ভার্চুয়ালি উদযাপন সকল প্রচার মাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে বলে জানান তিনি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সভাপতিত্বে সভায় জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী পুলিশপ্রধান বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রধানসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। | null | বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানে নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা সভা। | national |
https://www.bhorerkagoj.com/2020/06/21/%e0%a6%8f%e0%a6%95-%e0%a6%97%e0%a7%8b%e0%a6%b2%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%85%e0%a6%aa%e0%a7%87%e0%a6%95%e0%a7%8d%e0%a6%b7%e0%a6%be%e0%a7%9f-%e0%a6%ae%e0%a7%87%e0%a6%b8%e0%a6%bf/ | এক গোলের অপেক্ষায় মেসি | আর্জেন্টাইন সুপারস্টার লিওনেল মেসি নিজের ফুটবল ক্যারিয়ারে এখন পর্যন্ত পেয়েছেন অসংখ্য সাফল্য। বিশ্বের একমাত্র ফুটবলার হিসেবে তিনি ৬ বার ব্যালন ডি'অরের পুরস্কার দেখেছেন। ক্লাব হোক আর দেশ হোক সবক্ষেত্রেই নিজের সাফল্যের ছাপ রেখে করেছেন অনেক রেকর্ড। নিজের নাম লিখিয়েছেন ইতিহাসের পাতায়। এবার নিজের ফুটবল ক্যারিয়ারে আরেকটি মাইলস্টোনের দ্বারপ্রান্তে রয়েছেন আর্জেন্টাইন জাদুকর। আর তা হলো সিনিয়র ক্যারিয়ারে দেশ ও ক্লাব মিলিয়ে ৭০০টি গোল করা। যদিও মেসির সামনে গত শনিবার লা লিগায় সেভিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে ৭০০তম গোল করার সুযোগ ছিল। কিন্তু সেদিন তিনি সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি। মঙ্গলবার (২২ জুন) রাতে লা লিগায় অ্যাতলেটিকো ক্লাবের বিপক্ষে খেলতে নামবেন তিনি। তার সমর্থকদের প্রত্যাশা এদিন তিনি নিজের ৭০০তম গোলটি পূর্ণ করবেন আর বার্সাকে জয় পেতে সাহায্য করবেন। মেসি যদি অ্যাতলেটিকো ক্লাবের বিপক্ষে এদিন গোল করে ৭০০তম গোল পূর্ণ করতে পারেন তাহলে বিশ্বের সপ্তম ফুটবলার হিসেবে ৭০০ বা তার বেশি গোল করার রেকর্ড গড়বেন। মেসির আগে ৭০০ বা তার বেশি গোল করেছেন চেক-অস্ট্রিয়ান ফুটবলার জোসেফ বিকান, ব্রাজিলের রোমারিও এবং পেলে, হাঙ্গেরির ফেরেন পুসকাস, পর্তুগিজ সুপারস্টার ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো এবং জার্মান ফুটবলার জেরেড মুলার। এই ৬ জনের মধ্যে এখনো খেলা চালিয়ে যাচ্ছেন শুধু ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। ৭০০র বেশি গোল করার তালিকার শীর্ষে থাকা জোসেফ বিকান ১৯৩১-১৯৫৬ সাল পর্যন্ত ৫৩০টিরও বেশি ম্যাচ খেলে ৮০৫টিরও বেশি গোল করেছেন। দ্বিতীয়স্থানে থাকা ব্রাজিলিয়ান রোমারিও তার ক্যারিয়ারে ৯৯৪টি ম্যাচ খেলে ৭৭২টি গোল করেছেন। তিনি ১৯৮৫ সাল থেকে শুরু করে ২০০৭ সাল পর্যন্ত ফুটবল খেলা চালিয়ে গেছেন। ১৯৯৪ সালে তিনি ব্রাজিলের হয়ে বিশ্বকাপও জেতেন। তৃতীয়স্থানে থাকা আরেক ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি পেলে তার ফুটবল ক্যারিয়ারে ৮৩১টি ম্যাচ খেলে ৭৬৭টি গোল করেছেন। তিনি সবমিলিয়ে ১৯৫৭-১৯৭৭ সাল পর্যন্ত পেশাদার ফুটবল খেলা চালিয়ে যান। চতুর্থস্থানে থাকা হাঙ্গেরির ফেরেন পুসকাস তার ক্যারিয়ারে ম্যাচ খেলেছেন ৭৫৪টিও বেশি। ১৯৪৩-১৯৬৬ সাল পর্যন্ত এই ম্যাচগুলো খেলে তিনি গোল করেছেন ৭৪৬টিও বেশি। পঞ্চমস্থানে রয়েছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। তিনি এখন পর্যন্ত তার ক্যারিয়ারে সবমিলিয়ে ১০৩৮টি ম্যাচ খেলে ৭৪৩ গোল করেছেন। রোনালদো এখনো খেলা চালিয়ে যাওয়ায় তার ওপরে থাকা প্রায় সবাইকে টপকে যেতেও পারেন। অন্যদিকে তালিকার ষষ্ঠ ও শেষ স্থানে থাকা জার্মানির জেরাড মুলার তার ফুটবল ক্যারিয়ারে ৭৯৩ ম্যাচ খেলে ৭৩৫টি গোল করেছেন। আর এই গোলগুলো তিনি করেন ১৯৬২-১৯৮১ সালের মধ্যে। | অপেক্ষায়,গোল,মেসি,লা লিগায় | মেসি | sports |
https://www.bd-pratidin.com/city-news/2022/03/31/755342 | রাজধানীতে বেপরোয়া প্লেট বিহীন সাদা কাগজে নম্বর লেখা মোটরসাইকেল | সাদা কাগজে নামে মাত্র বাগেরহাটের নেমপ্লেটসহ একটি মোটরসাইকেল ঢাকার রাজপথে বেপরোয়া ভাবে চালানোর অভিযোগ উঠেছে। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উত্তরা ১ নম্বর সেক্টর বিমানবন্দর সড়কে 'বাগেরহাট হ-১২-৮১৩৪' প্লেট বিহীন সাদা কাগজের উপরলেখা নম্বরের এই মোটরসাইকেলটি চলতে দেখা যায়। জানা গেছে, মোটরসাইকেলটি রাজধানী ঢাকায় বেপরোয়া ভাবে চললেও পুলিশ কিছু বলে না। অভিযোগ রয়েছে, বেআইনিভাবে চলা এই মোটরসাইকেলটি আশে-পাশের গাড়িতে ধাক্কা দিয়ে আতঙ্ক তৈরি করে এবং গাড়ির মালিকদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে। তবে পুলিশ এই মোটরসাইকেল আটক করলেও অজ্ঞাত কারণে ছেড়ে দেয়। | null | বেপরোয়া সেই মোটরসাইকেল | national |
https://bangla.dhakatribune.com/bangladesh/2022/02/17/1645098221212 | ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে শিশু সন্তানসহ মায়ের 'আত্মহত্যা' | বগুড়ার আদমদীঘিতে ট্রেনে কাটা পড়ে মরিয়ম বেগম (২৮) ও ছয় বছরের শিশু নুরজাহান মৃত্তিকার মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নওগাঁর রাণীনগর স্টেশনের হোম সিগন্যালের পাশে বগুড়ার আদমদীঘির ডাঙ্গাপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য খলিল প্রামাণিক বলছেন, দাম্পত্য কলহে ওই গৃহবধু শিশু সন্তানসহ আত্মহত্যা করেছেন। তবে সান্তাহার রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাকিউল ইসলাম জানান, তদন্ত ছাড়াই এ ব্যাপারে মন্তব্য করা সম্ভব নয়। মরদেহ উদ্ধার করে নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে বলে জানান তিনি। নওগাঁর রানীনগর উপজেলার কাশিমপুর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য খলিল প্রামাণিক ও স্থানীয়রা জানান, নিহত মরিয়ম বেগম বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার প্রাণনাথপুর গ্রামের ভ্যান চালক নাঈম হোসেনের স্ত্রী। নুরজাহান মৃত্তিকা তাদের একমাত্র সন্তান। নাঈম হোসেন ২০১৫ সালের শেষের দিকে নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার এনায়েতপুর গ্রামের মরিয়ম বেগমকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকেই ওই দম্পতির মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। এ নিয়ে রানীনগর উপজেলার কাশিমপুর ইউনিয়নের বেশ কয়েকবার শালিস বসে। বুধবার রাতে নাঈম ও মরিয়ম বেগমের মধ্যে আবারও ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে নাঈম স্ত্রী মরিয়মকে মারধর করেন। এতে মরিয়ম বেগম প্রচন্ড কষ্ট পান। বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার দিকে মরিয়ম তার মেয়ে মৃত্তিকাকে সাথে নিয়ে আধা কিলোমিটার দূরে নওগাঁর রাণীনগর রেলস্টেশনে উত্তরে হোম সিগন্যালের পাশে আদমদীঘি উপজেলার ডাঙ্গাপাড়ায় যান। এ সময় তিনি মেয়েকে নিয়ে ঢাকা ছেড়ে আসা কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেসের নিচে ঝাঁপিয়ে পড়েন। ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়। সান্তাহার রেলওয়ে স্টেশন থানার এসআই নরেশ জানান, দাম্পত্য কলহে শিশুসহ গৃহবধু ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। এ ব্যাপারে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। নিহত মা ও মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাশের নওগাঁ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। | ট্রেন দুর্ঘটনা,বগুড়া,আত্মহত্যা | গুড়ার আদমদীঘির ডাঙ্গাপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে | national |
https://www.prothomalo.com/business/world-business/১৯০টি-দেশের-মধ্যে-বাংলাদেশ-১৭৪তম-বিশ্বব্যাংক | ১৯০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ
১৭৪তম: বিশ্বব্যাংক | বিশ্বের প্রায় ২৪০ কোটি কর্মক্ষম নারী আর্থিক সুযোগের সমতায় পুরুষের চেয়ে পিছিয়ে আছেন। এর মধ্যে ১৭৮টি দেশে নারীদের আর্থিক কর্মকাণ্ডে পুরোপুরি অংশগ্রহণে আইনি বাধা আছে। সম্প্রতি প্রকাশিত বিশ্বব্যাংকের 'উইমেন, বিজনেস অ্যান্ড দ্য ল ২০২২' শীর্ষক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। বিশ্বের ১৯০টি দেশে ব্যবসা-বাণিজ্যে নারীদের অংশগ্রহণ নিয়ে এই তালিকা প্রণয়ন করেছে বিশ্বব্যাংক। চলাচলের স্বাধীনতা, কর্মক্ষেত্র, বেতন, বিবাহ, অভিভাবকত্ব, উদ্যোক্তা, সম্পদ ও পেনশন-এই আটটি সূচকের ওপর ৩৫টি প্রশ্নের ভিত্তিতে এই স্কোর নির্ণয় করা হয়েছে। তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ১৭৪তম-স্কোর ১০০-এর মধ্যে অর্ধেকের কম-৪৯ দশমিক ৪। ২০২১ সালেও বাংলাদেশের স্কোর একই ছিল। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় এই স্কোর ছিল ৩৫। সেই হিসাবে স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও আর্থিক সুযোগের সমতায় বাংলাদেশের নারীদের অবস্থানে খুব বেশি পরিবর্তন আসেনি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ৫০ বছরে বাংলাদেশ দারিদ্র্য বিমোচন, নারী শিক্ষা, শ্রমশক্তিতে নারীর অংশগ্রহণে অনেক এগিয়ে গেলেও লৈঙ্গিক সমতা নিশ্চিত করতে যেসব সংস্কার প্রয়োজন, সে ক্ষেত্রে পিছিয়ে আছে। ৩৮ দশমিক ১ স্কোর নিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশের চেয়ে খারাপ অবস্থানে আছে একমাত্র আফগানিস্তান। দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলের গড় স্কোর রেকর্ড করা হয়েছে ৬৩ দশমিক ৭। এই অঞ্চলের মধ্যে সবচেয়ে ভালো অবস্থানে আছে নেপাল, তাদের স্কোর ৮০ দশমিক ৬। একমাত্র নারীদের চলাচলের স্বাধীনতা সূচকে শতভাগ স্কোর করেছে বাংলাদেশ। আর কোনো সূচকে ৮০-এর বেশি স্কোর করতে পারেনি।দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্কোর ছিল ৭৫। নারীদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে ওঠার সূচকে এই স্কোর পেয়েছে বাংলাদেশ। সম্প্রতি এই বিষয়ে সরকারের কিছু সিদ্ধান্তে ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে। বাংলাদেশ সবচেয়ে খারাপ করেছে অভিভাবকত্ব সূচকে। এই সূচকে স্কোর ছিল মাত্র ২০। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে উন্নতি করতে পরামর্শ দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। এ জন্য সরকারি উদ্যোগে দেশের নারীদের মাতৃত্বকালীন ছুটিসহ শতভাগ আর্থিক সুবিধা নিশ্চিত করার পাশাপাশি পিতৃত্বকালীন ছুটি বেতনসহ মঞ্জুর করার তাগিদ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া অন্তঃসত্ত্বা নারী কর্মীদের চাকরি থেকে বরখাস্ত না করার জন্য বলেছে বিশ্বব্যাংক। প্রতিবেদনে বলা হয়, ৮৬টি দেশের নারীরা চাকরির ক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হয়ে থাকেন। আর ৯৫টি দেশে একই কাজের জন্য পুরুষের চেয়ে কম মজুরি পান নারীরা। আশার কথা হচ্ছে, মহামারির মধ্যে ২০২১ সালে নারীর আর্থিক অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি অগ্রাধিকার দিয়ে ২৩টি দেশ এ-সংক্রান্ত আইনে পরিবর্তন এনেছে। তবে বাংলাদেশে ২০২০ সালের অক্টোবর থেকে ২০২১ সালের অক্টোবর পর্যন্ত সময়ে (জরিপের সময়) এ-সংক্রান্ত আইনের সংস্কার হয়নি। | নারী,বিশ্বব্যাংক,বাংলাদেশ | ১৯০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ
১৭৪তম: বিশ্বব্যাংক | economy |
https://samakal.com/entertainment/article/18111341/নারীদের-জন্য-নিরাপদ-জায়গা | মি টু নিয়ে যা বললেন প্রীতি | বলিউডে মি টু আন্দোলনের জেরে নানা পাটেকর, অলোক নাথ, সাজিদ খান, সুভাস কাপুর, বিকাশ বোহেল, সুভাষ ঘাই, আনু মালিক ও রজত কাপুরের মতো তারকাদের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ এনেছেন অভিনেত্রীরা। কোন অভিনেত্রী আবার তাদের পক্ষ হয়ে কথা বলছেন, আবার কেউ তাদের মুখোশ উন্মোচন করছেন। অভিনেত্রীরা তাদের কর্মক্ষেত্রে ঘটে যাওয়া যৌন হয়রানির কথা যখন গণমাধ্যমে প্রকাশ করছেন ঠিক তখনই ওই অভিযোগকারীদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করে আলোচনায় এসেছেন 'কাল হো নাহো' খ্যাত তারকা প্রীতি জিনতা। ডেকান ক্রনিকেল জানায়, 'দিল সে', 'সোলডার', -এর মতো সুপারহিট ছবির এ নায়িকা সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকার দিয়েছেন।সেখানে তিনি বলেন, 'যখন আপনি কোন মানুষকে কটাক্ষ করবেন, পরে আপনিও এর ফল পাবেন। যদি আমি এই অনাকিঙ্খত পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকি, তবে কোন মানুষই আমার ক্ষতি করার চেষ্টা করবে না।' কিন্তু আমি যখন কাজের জায়গায় পেশাদারিত্ব দেখাতে পারি, তাহলে কেউ আমার সঙ্গে বাজে আচরণ করার সাহস পাবে না বলে মন্তব্য করেন এই বলি অভিনেত্রী। সাক্ষাৎকারে জোর গলায় প্র্রীতি আরও বলেন, 'বলিউডে কাজের ক্ষেত্রে আমার কোন অসুবিধে হয় না, বরং আমি এখানে নিরাপদবোধ করি।'এছাড়া প্রীতি বলেন, 'নারীর প্রতি দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন এবং তাদের প্রতি সন্মানহানি হয় এমন কাজ অনেকটাই কমে এসেছে।' | প্রীতি জিনতা,বিনোদন,বলিউড | প্রীতি জিনতা | entertainment |
https://www.bhorerkagoj.com/2021/08/12/%e0%a6%ac%e0%a6%99%e0%a7%8d%e0%a6%97%e0%a6%ac%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a7%e0%a7%81-%e0%a6%b9%e0%a6%a4%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%b8%e0%a6%99%e0%a7%8d%e0%a6%97%e0%a7%87-%e0%a6%9c/ | বঙ্গবন্ধু হত্যার সঙ্গে জিয়া জড়িত: আইনমন্ত্রী | আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেছেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জিয়াউর রহমান জড়িত এটা দিনের আলোর মতো স্পষ্ট। হয়তো আপনারা বলবেন জিয়াকে আসামি করা হয়নি কেন? এর জবাবে বলব যেহেতু জিয়াউর রহমান '৮১ সালে হত্যার শিকার হয়েছেন, সেজন্য তাকে আসামি করা হয়নি। কারণ বাংলাদেশের আইনে মরণোত্তর বিচারের কোনো বিধান নেই। বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) দুপুরে গুলশানে নিজ কার্যালয়ে ১৫ আগস্ট উপল্েয আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। মন্ত্রী বলেন, কেউ কেউ তার মরণোত্তর বিচারের দাবি করছেন। কিন্তু বাংলাদেশের আইনে মরণোত্তর সাজা দেওয়ার কোনো বিধান নেই। ফলে তামাশার জন্য আমরা কিছু করছি না। আনিসুল হক বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে খুনের দায়ে যারা সর্বোচ্চ আদালত থেকে সাজাপ্রাপ্ত হয়েছেন, তাদের ফিরিয়ে এনে রায় কার্যকর করতে সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ। আইনমন্ত্রী বলেন, শুধু সরকার ও আওয়ামী লীগ নয়, আমার মনে হয় বঙ্গবন্ধুর অনুসারী একজন থাকলেও এই হত্যাকারীদের ফিরিয়ে এনে রায় কার্যকর করবে। তাদের (আসামিদের) ফিরিয়ে আনতে আমাদের চলমান প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে। | null | বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জিয়াউর রহমান | national |
https://www.dailynayadiganta.com/subcontinent/374759/ম্যাটিসের-পদত্যাগে-যুক্তরাষ্ট্রে-বন্ধু-হারাল-দিল্লি | ম্যাটিসের পদত্যাগে যুক্তরাষ্ট্রে 'বন্ধু' হারাল দিল্লি! | আমেরিকার নির্বাচনে রুশ হস্তক্ষেপের অভিযোগ ঘিরে তখন ফুঁসছে মার্কিন কংগ্রেস। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলে দিয়েছেন, রাশিয়া থেকে অস্ত্র কিনলেই 'শাস্তি দিতে' একঘরে করা হবে সেই দেশকে। ভারতও ছিল সেই তালিকায়। কারণ তত দিনে, এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কেনা নিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তি করে ফেলেছে নয়াদিল্লি। এবং ওয়াশিংটনের প্রবল আপত্তি সত্ত্বেও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন নিজে ভারতে এসে সেই চুক্তিতে সই করেছেন। হোয়াইট হাউস সূত্রে খবর, সেই সময়ে ভারতের হয়ে ট্রাম্পের কাছে যুক্তি তুলে ধরেন জেমস ম্যাটিস। বৃহস্পতিবার প্রতিরক্ষামন্ত্রীর পদ থেকে তার ইস্তফা ঘোষণার পরে মনে করা হচ্ছে, মার্কিন প্রশাসনের অন্দরে ভারতের হয়ে কথা বলার মতো জোরালো সুর আর তেমন রইল না। রুশ ক্ষেপণাস্ত্র ও প্রযুক্তি ব্যবহার নিয়ে বরাবরই ভারতের প্রতি নারাজ আমেরিকা। রাশিয়ার অস্ত্র কিনলে কী শাস্তি দেয়া হবে, সে জন্য বিশেষ আইনও আনে ট্রাম্পের প্রশাসন। কিন্তু ভারতকে যাতে এই নিষেধাজ্ঞার বাইরে রাখা যায়, তা নিয়েই গত ২০ জুলাই মার্কিন কংগ্রেসে চিঠি লেখেন ম্যাটিস। ট্রাম্পের পররাষ্ট্রনীতিকেই কার্যত প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে সেই চিঠিতে ম্যাটিস লিখেছিলেন, ''আমরা কি আমাদের সহযোগী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক আরো জোরালো করব, নাকি এমন একটা পরিস্থিতি তৈরি করব, যাতে রাশিয়ার দিকে ঝোঁকা ছাড়া তাদের আর কোনো উপায় না থাকে? এই মৌলিক প্রশ্নটা আমাদের নিজেদেরকেই করতে হবে।'' ম্যাটিসই ট্রাম্প প্রশাসনের একমাত্র মন্ত্রী, যিনি দু'বার ভারত সফরে এসেছিলেন। গত বছর সেপ্টেম্বরে এক দ্বিপক্ষীয় সফরে এবং চলতি বছর সেপ্টেম্বরে ভারত-মার্কিন ২+২ বৈঠকে যোগ দিতে। ট্রাম্প সিরিয়া থেকে সেনা সরানোর সিদ্ধান্ত নেয়ার পরেই, বৃহস্পতিবার ইস্তফার কথা ঘোষণা করেন ম্যাটিস। প্রেসিডেন্টকে স্পষ্ট জানান- মতের মিল হচ্ছে না। কূটনীতিকেরা অবশ্য মনে করাচ্ছেন, সব সময় ট্রাম্পের সঙ্গে মত না মিললেও ম্যাটিস বরাবর ভারতের পাশেই থেকেছেন। ভারত আমেরিকাকে বুঝিয়েছিল, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার নিরাপত্তা ও আঞ্চলিক ভারসাম্য বজায় রাখার স্বার্থেই রাশিয়া থেকে এস-৪০০ কেনা প্রয়োজন। কূটনীতিকেরা মনে করছেন, নিমরাজি হলেও ম্যাটিসের পরামর্শেই ভারতের এই সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছিল আমেরিকা। তার পর নয়াদিল্লি যখন আফগানিস্তানে সেনা না-পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়, তখনো এই ম্যাটিসই ভারতকে আশ্বস্ত করেছিলেন। জানিয়েছিলেন, মার্কিন সেনা তো আছেই। অতএব, চিন্তার কিছু নেই। এখন অবশ্য সিরিয়ার পরে আফগানিস্তান থেকেও সেনাসদস্য কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। ফেব্রুয়ারির পরে আর অফিসে আসবেন না ম্যাটিসও। চলতি মাসের গোড়ায় আমেরিকা সফরে যান ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। সেই সময়ে রুশ অস্ত্র কেনাকে কেন্দ্র করে ভারত-মার্কিন সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন করা হয় ম্যাটিসকে। তিনি বলেছিলেন, ''আমরা সব সমস্যার সমাধান করে দেব। আমার উপর আস্থা রাখুন।'' ম্যাটিসের হঠাৎ ইস্তফা ঘোষণায় ভারত এই আশ্বাসের সুরটিই হারাল বলে মনে করছেন অনেকে। | null | জেমস ম্যাটিস | international |
https://www.ajkerpatrika.com/103348/%E2%80%98%E0%A6%85%E0%A6%AA%E0%A6%B6%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%B0%E0%A7%81%E0%A6%96%E0%A6%AC%E0%A7%87-%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E2%80%99 | 'অপশক্তিকে রুখবে সাংবাদিকেরা' | প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার বলেছেন, 'মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে আমরা স্বাধীন বাংলাদেশ পেয়েছি। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে লালন করেই সাংবাদিকেরা স্বাধীনতার অপশক্তিকে রুখে দেবে। সাংবাদিকদের লেখনীর মধ্য দিয়ে সমাজের সব চিত্র আমরা দেখতে পাই। তাই দেশপ্রেম নিয়ে বস্তু-নিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করতে হবে। কারণ মানুষ সাংবাদিকদের কথাই সব সময় শুনতে চায়।'গতকাল বুধবার দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলা প্রেসক্লাব কার্যালয় উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার এসব কথা বলেন। এর আগে তিনি প্রেসক্লাবের স্থায়ী কার্যালয়ের ফলক উন্মোচন করেন।প্রেসক্লাবের সভাপতি প্রভাষক অমর চাঁদ গুপ্ত অপুর সভাপতিত্বে এবং আশরাফ পারভেজের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আতাউর রহমান মিল্টন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রিয়াজ উদ্দিন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) শামিমা আক্তার জাহান, জেলা পরিষদের সদস্য মো. কামরুজ্জামান শাহ কামরু, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. এছার উদ্দিন, ওসি মো. আশ্রাফুল ইসলাম প্রমুখ। | দিনাজপুর,রংপুর বিভাগ,ফুলবাড়ী,ছাপা সংস্করণ,রংপুর সংস্করণ,দিনাজপুর নীলফামারী গাইবান্ধা | 'অপশক্তিকে রুখবে সাংবাদিকেরা' | national |
https://www.ajkerpatrika.com/43951/%E0%A6%AB%E0%A7%8B%E0%A6%A8%E0%A7%87-%E0%A6%86%E0%A7%9C%E0%A6%BF%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A6%BE-%E0%A6%AC%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%9F-%E0%A6%96%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%9C | ফোনে আড়ি পাতা বন্ধের রিট খারিজ | ফোনে আড়ি পাতা ও ফোনালাপ ফাঁস বন্ধে দায়ের করা রিট সরাসরি খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। বুধবার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার রেজা ই রাকিব।গত ১০ আগস্ট ফোনে আড়ি পাতা বন্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছিল। রিটে ফোনালাপ ফাঁসের ২০টি ঘটনা তদন্তের নির্দেশনা চাওয়া হয়। সুপ্রিম কোর্টের ১০ আইনজীবীর পক্ষে অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির এই রিট দায়ের করেন।আইনজীবীরা হলেন-অ্যাডভোকেট রেজওয়ানা ফেরদৌস, উত্তম কুমার বণিক, শাহ নাভিলা কাশফী, ফরহাদ আহমেদ সিদ্দিকী, মোহাম্মদ নওয়াব আলী, মোহাম্মদ ইবরাহিম খলিল, মুস্তাফিজুর রহমান, জি এম মুজাহিদুর রহমান (মুন্না), ইমরুল কায়েস ও একরামুল কবির।রিটে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক মন্ত্রণালয়, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ, তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগ এবং বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) রিটে বিবাদী করা হয়। | ঢাকা বিভাগ,ঢাকা,হাইকোর্ট,আড়িপাতা,ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী | হাইকোর্ট। | national |
https://bangla.dhakatribune.com/international/2021/11/17/16371720436129213 | মিয়ানমারে দুই দিনে ৭০ সেনাকে 'হত্যা' করেছে মিলিশিয়ারা | মিয়ানমারেপিপলস ডিফেন্স ফোর্সেস (পিডিএফ) নামে একটি স্থানীয় মিলিশিয়ার হামলায় কমপক্ষে ৭০ জন জান্তা সেনা নিহত হয়েছে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, সোমবার (১৫ নভেম্বর) ইয়াঙ্গুনে সরকারি সৈন্যদের লক্ষ্য করে পিডিএফ-এর তিনটি হামলা এবং আইয়ারওয়াদি অঞ্চলে জান্তা মন্ত্রীদের বহনকারী একটি কাফেলার ওপর হামলায় অন্তত ৭০ সেনা নিহত হয়েছে। সোমবার বিকেলে একটি সশস্ত্র গোষ্ঠী পাথেইন টাউনশিপের চৌংথা-পাথেইন মহাসড়কে জান্তা-নিযুক্ত হোটেল ও পর্যটন মন্ত্রী ডা. হ্যাতে অং এবং আয়ারওয়াদির মুখ্যমন্ত্রী উ টিন মং উইনকে বহনকারী একটি গাড়িবহরে অতর্কিত হামলা চালায়। অতর্কিত এই হামলায় ১০ সরকারি সেনা নিহত হয়। এছাড়া, ঘটনার পর দুই মন্ত্রীর খোঁজ এখনও পাওয়া যায়নি। অন্যদিকে, ইয়াঙ্গুনে আরও তিনটি পিডিএফ হামলায় অন্তত আট জান্তা সৈন্য ও পুলিশ নিহত হয়েছে। সোমবার সকালে বেসামরিক প্রতিরোধ যোদ্ধারা ইয়াঙ্গুনের হানতাবিন টাউনশিপের একটি পুলিশ ফাঁড়িতে জান্তা সেনাদের ওপর হামলা করে পুলিশ অফিসারদের হত্যা করে। এ সময় তারা ইয়াঙ্গুনের থানলাইন ব্রিজের কাছে একটি পুলিশ ফাঁড়িতেও হামলা চালিয়ে কমপক্ষে তিন জান্তা সেনাকে হত্যা করেছে। জানা গেছে, থাকেতা টাউনশিপের সেতুর কাছে একটি ট্রাফিক পুলিশ পোস্টে আরেকটি হামলায় দুই ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। একই দিনে মোগোক পিডিএফ রুবি শহরের একটি হাইস্কুল এবং পুলিশ স্টেশনে অবস্থানরত শাসক বাহিনীকেও আক্রমণ করেছে। এর আগে রবিবার, টাউনশিপে একটি সামরিক ক্যাম্প এবং একটি কারাগারে হামলা চালিয়েছিল পিডিএফ। প্রতিবেদনেবলা হয়, দুই দিনে মিয়ানমারে অন্তত ২০ স্থানীয় প্রশাসক নিহত হয়েছেন। জাতীয় ঐক্য সরকারের (এনইউজি) প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সোমবার সাগাইং অঞ্চলের বেশ কয়েকটি শহরে জান্তা সেনাদের ওপর অতর্কিত হামলার খবর পাওয়া গেছে। চিন্ডউইন অ্যাটাক ফোর্সের মতে, রবিবার দুটি বেসামরিক প্রতিরোধ গোষ্ঠী সাগাইং অঞ্চলের মনিওয়া টাউনশিপের মনিওয়া-মান্ডালয় মহাসড়কে তিনটি জান্তা যানবাহন উড়িয়ে দিয়েছে। হামলায় দুই জান্তা সৈন্য নিহত এবং জান্তা বাহিনীর এলোমেলো গুলিতে দুই বেসামরিক নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। জান্তার ওপর চলমান হামলার মধ্যেও নৃশংসতা অব্যাহত রেখেছে সরকার। যার মধ্যে- বেসামরিক নাগরিকদের নির্বিচারে হত্যা, তাদের মানব ঢাল হিসেবে ব্যবহার করা, আবাসিক এলাকায় বোমা হামলা, লুটপাট এবং বাড়িঘর পুড়িয়ে দেওয়াসহ ম্যাগওয়ে, সাগাইং, চিন, শান এবং কায়াহসহ কয়েকটি রাজ্যে যৌন সহিংসতা বৃদ্ধির ঘটনা অন্যতম। একটি স্থানীয় পর্যবেক্ষণ গ্রুপের মতে, অভ্যুত্থানের পর থেকে ১০ হাজার জনেরও বেশি মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়া, একটি স্থানীয় পর্যবেক্ষণ গোষ্ঠীর বরাত দিয়ে জাতিসংঘ জানিয়েছে, নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে ১ হাজার ২০০ জনেরও বেশি বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। | null | মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুনে সামরিক অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে রাস্তায় মিছিল করছে সেনারা, ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রয়টার্স | international |
https://www.bd-pratidin.com/country/2017/07/16/248171 | নাটোরে ৭২ ঘণ্টায় ছাত্রলীগ থেকে একজনের পদত্যাগ | বিবাহিত হওয়ায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন ছাত্রলীগ নাটোর জেলা শাখার যুগ্ম-সম্পাদক পদ থেকে ছাত্রনেতা আব্দুল্লাহ আল মামুন স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন। সম্প্রতি ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহ কমিটির জরুরি বৈঠকে বিবাহিতদের ছাত্রলীগ থেকে ৭২ ঘন্টার মধ্যে পদত্যাগের নির্দেশ দেয়া হয়। সে নির্দেশের প্রতি সম্মান জানিয়ে রবিবার নাটোর জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সম্পাদক পদ থেকে পদত্যাগ করেন ছাত্রনেতা আব্দুল্লাহ আল মামুন। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সিদ্ধান্তকে মেনে নিয়ে সে পদত্যাগ করেন। এদিকে, ৭২ ঘণ্টা পার হলেও আর কোন বিবাহিত ছাত্রলীগ নেতা পদত্যাগ করেনি। নাটোর জেলা ছাত্রলীগের কমিটির বিবাহিত তালিকায় নাম রয়েছে এমন নেতারা হলেন, নাটোর জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি রাকিবুল হাসান জেমস, সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম মাসুম, সহ- সভাপতি হাফিজুর রহমান, গোলাপ হোসেন, সাহাবুদ্দিন মোল্লা, নাজমুল হক বকুল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সবুজ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মকুল মিঞা, প্রচার সম্পাদক তানভীর আহাম্মেদ শাওন, সাহিত্য সম্পাদক সাইফ হাসান শাওন, উপ-সাহিত্য সম্পাদক রাকিবুল হাসান রকি, মানবসম্পদ উন্নয়ন সম্পাদক সরকার গোলাম সাকলাইন, উপ-শিক্ষা উপবৃতি সম্পাদক নয়ন কুমার কুন্ডু, সদস্য নিয়ন হোসে।
বিডি প্রতিদিন/১৬ জুলাই ২০১৭/আরাফাত | null | ছাত্রনেতা আব্দুল্লাহ আল মামুন | national |
https://www.bhorerkagoj.com/2022/02/26/%e0%a6%9c%e0%a7%80%e0%a6%ac%e0%a6%a8-%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%81%e0%a6%9a%e0%a6%be%e0%a6%a4%e0%a7%87-%e0%a6%aa%e0%a6%be%e0%a6%a4%e0%a6%be%e0%a6%b2-%e0%a6%b0%e0%a7%87%e0%a6%b2%e0%a7%87-%e0%a6%b8/ | জীবন বাঁচাতে পাতাল রেলে সন্তানের জন্ম দিলেন ইউক্রেন তরুণী | ইউক্রেনে চলছে রুশ আগ্রাসন। অনবরত গোলাগুলি, মুহুর্মুহু বিস্ফোরণে কেঁপে উঠছে চারদিক। ততক্ষণে কিয়েভে এসে পড়েছে রুশ সেনারা। মানুষজন ছুটছে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে। এর মধ্যেই জীবন বাঁচাতে পাতাল রেলে একজন ২৩ বছর বয়সী তরুণী জন্ম দিলেন ফুটফুটে এক মেয়েশিশুর। স্থানীয় সময় রাত আটটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। বাইরে গুলির শব্দ। আর ভেতরে ওই তরুণী প্রসববেদনায় কাতরাচ্ছেন। স্থানীয় পুলিশ সদস্যরা এ বিষয়ে জানতে পারলে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে সহায়তা করেন। এরপরই তিনি ওই মেয়েশিশুর জন্ম দেন। শিশুটির নাম রাখা হয় 'মিয়া'। খবর ডেইলি মেইলের। | ইউক্রেন সংকট | ইউক্রেনে শুক্রবার জীবন বাঁচাতে পাতাল রেলে মেয়ের জন্ম দেন তরুণী | miscellaneous |
https://www.bhorerkagoj.com/2022/02/03/%e0%a6%ae%e0%a6%be-%e0%a6%b9%e0%a6%93%e0%a7%9f%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%aa%e0%a6%b0-%e0%a6%a6%e0%a7%87%e0%a6%96%e0%a6%be-%e0%a6%a6%e0%a6%bf%e0%a6%b2%e0%a7%87%e0%a6%a8-%e0%a6%aa%e0%a7%8d%e0%a6%b0/ | মা হওয়ার পর দেখা দিলেন প্রিয়াংকা | ২২ জানুয়ারি মধ্য রাতে প্রিয়াংকা চোপড়া ইনস্টাগ্রামে মা হওয়ার খবর দিয়েছিলেন। তারপর থেকে অন্তর্জালে কোনো সাড়া শব্দ ছিল না তার। মা হওয়ার পর ৩ ফেব্রুয়ারি প্রথমবার 'দেশি গার্ল' ইনস্টাগ্রামে একটি নিজস্বী পোস্ট করলেন। আমেরিকার পপ গায়ক নিক জোনাস এবং বলিউড তারকা প্রিয়াংকার সন্তানের জন্ম হয়েছে নির্ধারিত সময়ের ১২ সপ্তাহ আগে। চিকিৎসক সন্তান জন্মের তারিখ দিয়েছিলেন এপ্রিল মাসে। কিন্তু ১২ সপ্তাহ আগেই সন্তানের জন্ম দিয়েছেন সারোগেট মা। তার ফলে বেশ কিছু দিন 'নিকিয়াংকা'র মেয়ে চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে থাকবে বলে জানা গিয়েছিল। তারকা-দম্পতি তাদের সন্তানকে বাড়িতে আনতে পারবেন না। এখনও একরত্তি হাসপাতালেই কি-না, সে তথ্যও পাওয়া যায়নি। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার। তারই মাঝে প্রিয়াংকা নিজের দুটি ছবি পোস্ট করলেন। গাড়ির কাছে নিজস্বী তুলে তিনি লিখলেন, এই আলো ভালো লাগছে। ভক্তরা তাকে 'মাম্মি' বলে সম্বোধন করেছেন পোস্টের মন্তব্য ঘরে। প্রিয়াংকার মা হওয়ার খবর দেওয়ার পরেই বলিউড তারকা এবং ভামিকার মা আনুশকা শর্মা তার অভিজ্ঞতার কথা মনে করে উপদেশ দিয়েছিলেন 'পিগি চপস'-কে। আনুশকা লিখেছিলেন, নিদ্রাহীন রাতের জন্য প্রস্তুত হয়ে যাও প্রিয়াংকা-নিক। একইসঙ্গে অতুলনীয় আনন্দের সাক্ষী হতে চলেছ তোমরা। | প্রিয়াংকা,মা হওয়া | প্রিয়াংকা চোপড়া | entertainment |
https://www.bhorerkagoj.com/2020/10/04/%e0%a6%97%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%ae%e0%a7%87-%e0%a6%b6%e0%a6%b9%e0%a6%b0%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%b8%e0%a6%95%e0%a6%b2-%e0%a6%b8%e0%a7%81%e0%a6%af%e0%a7%8b%e0%a6%97-%e0%a6%b8%e0%a7%81/ | গ্রামে শহরের সকল সুযোগ সুবিধা পৌঁছে দেয়া হবে | গ্রামের মানুষকে অবহেলিত রেখে উন্নত বাংলাদেশ গড়া সম্ভব নয়, তাই গ্রামে শহরের সকল সুযোগ সুবিধা পৌঁছে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। রবিবার (৪ অক্টোবর) স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত আমার গ্রাম আমার শহর: প্রতিটি গ্রামে আধুনিক নগর সুবিধা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নয়ে গঠিত আন্ত:মন্ত্রণালয় কমিটির প্রথম সভায় সভাপতির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন। মো. তাজুল ইসলাম বলেন, উন্নত জীবনের আশায় মানুষ গ্রাম ছেড়ে শহরে আসতেছে। আমরা যদি গ্রামে শহরের সব সুবিধা নিশ্চিত করি তাহলে মানুষ আর শহরে আসবে না। গ্রামাঞ্চলে বিভিন্ন কল-কারখানা স্থাপনের মাধ্যমে ব্যাপক কর্মসংস্থান তৈরি করার কথাও জানান তিনি। স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, 'সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ' শীর্ষক আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে প্রতিটি গ্রামে আধুনিক নগর সুবিধা সম্প্রসারণের মাধ্যমে 'আমার গ্রাম আমার শহর' উদ্যোগ গ্রহণের বিশেষ অঙ্গীকার করা হয়েছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে উন্নত যোগাযোগ, সুপেয় পানি, আধুনিক স্বাস্থ্যসেবা ও সুচিকিৎসা, মানসম্পন্ন শিক্ষা, উন্নত পয়নিষ্কাশন ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহ বৃদ্ধি, কম্পিউটার ও দ্রুতগতিসম্পন্ন ইন্টারনেট সুবিধা, বৈদ্যুতিক সরঞ্জামসহ মানসম্পন্ন ভোগ্যপণ্যের বাজার সম্প্রসারণের মাধ্যমে প্রতিটি গ্রামকে আধুনিক শহরে রুপান্তির করা হবে। মো. তাজুল ইসলাম বলেন, গ্রামে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা পৌঁছে দেওয়ার চেয়েও বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে এর গুণগতমান এবং টেকসই নিশ্চিত করা। মন্ত্রী বলেন, গ্রামে আধুনিক সব সুযোগ সুবিধা তৈরি করার জন্য বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে তাই সব মন্ত্রণালয় একত্র হয়ে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। এ পরিকল্পনা বিভিন্ন পর্যায়ে যাচাই-বাছাই করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়,বিভাগ বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেবে। সরকারের বিশেষ উদ্যোগ 'আমার গ্রাম, আমার শহর' পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় গুলোকে স্ব স্ব কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করে স্থানীয় সরকার বিভাগে পাঠানোর জন্য সচিবদের প্রতি আহবান জানান মো. তাজুল ইসলাম। স্থানীয় সরকার মন্ত্রী, আটটি বিভাগের আটটি গ্রাম এবং সাতটি বিশেষ অঞ্চলের সাতটি মোট ১৫ টি গ্রামকে আমার গ্রাম, আমার শহরের উদ্যোগের আওতায় আনতে প্রাথমিক পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। সভায় স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, কৃষি মন্ত্রণালয়, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়, শিল্প মন্ত্রণালয়, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়, এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ এর সিনিয়র সচিব,সচিব এবং মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর ও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী উপস্থিত ছিলেন। | null | স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম । | national |
https://www.bhorerkagoj.com/2019/04/13/%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%82%e0%a6%b2%e0%a6%be%e0%a6%a6%e0%a7%87%e0%a6%b6-%e0%a6%93-%e0%a6%ad%e0%a7%81%e0%a6%9f%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%ae%e0%a6%a7%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%95/ | বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যকার সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় হবে | ভবিষ্যতে বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যকার সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে। বাণিজ্য-বিনিয়োগসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিতে দুই দেশই বেশ আগ্রহী। আজ শনিবার বাংলাদেশে সফররত ভুটানের প্রধানমন্ত্রী ডা. লোটে শেরিং বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এ আগ্রহের কথা উঠে আসে। সন্ধ্যা ৬টায় বঙ্গভবনে লোটে শেরিংকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান রাষ্ট্রপতি। পরে বঙ্গভবনের ক্রেডেনশিয়াল হলে বৈঠক করেন তারা। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাতের পর প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মো. জয়নাল আবেদীন সাংবাদিকদের জানান, বঙ্গভবনে ভুটানের প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশকে প্রথম স্বীকৃতি দানকারী দেশ ভুটান। প্রধান তথ্য কর্মকর্তা জানান, সাক্ষাতের সময় বাণিজ্য-বিনিয়োগসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিতে দুই দেশের আগ্রহের কথা উঠে আসে। রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে ভুটানের সম্পর্ক ক্রমশ বহুপাক্ষিক ক্ষেত্রে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ সফরের ফলে সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে বলে আশা প্রকাশ করেন রাষ্ট্রপতি। চারদিনের সফরে শুক্রবার (১২ এপ্রিল) বাংলাদেশে এসেছেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী। গত ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে জিতে আওয়ামী লীগ টানা তৃতীয় মেয়াদে সরকার গঠনের পর, এটিই বিদেশি কোনো সরকার প্রধানের প্রথম বাংলাদেশ সফর। এর আগে সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে পাঁচটি সমঝোতা স্মারক সই করেন লোটে শেরিং। স্বাস্থ্য, কৃষি, নৌপরিবহন, পর্যটন খাতে সহযোগিতা এবং জনপ্রশাসন খাতে প্রশিক্ষণের বিষয়ে এ সমঝোতা স্মারক সই হয়। ভুটানের সঙ্গে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারক বাস্তবায়ন হলে বাণিজ্য-বিনিয়োগ ক্ষেত্রে পারস্পরিক সম্পর্ক আরও সম্প্রসারিত হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন আবদুল হামিদ। সাক্ষাৎকালে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের মেডিকেল শিক্ষার্থী হিসেবে নিজের স্মৃতি তুলে ধরে বলেন, বাংলাদেশে আবার আসতে পেরে তিনি অত্যন্ত আনন্দিত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভবিষ্যতে দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়নে তা মাইলফলক হয়ে থাকবে। বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিকসহ বিভিন্ন খাতে উন্নয়নের প্রশংসা করেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন, পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল ইসলামসহ বঙ্গভবনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের অষ্টাদশ ব্যাচের ছাত্র লোটে শেরিং এমবিবিএস পাস করার পর বাংলাদেশেই সার্জারিতে উচ্চতর ডিগ্রি নেন। দেশে ফিরে যোগ দেন চিকিৎসকের পেশায়। সরকারি চাকরি ছেড়ে ২০১৩ সালে রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার পর অল্প সময়ের মধ্যেই তার দল ডিএনটি চমক সৃষ্টি করে। ২০১৮ সালের নির্বাচনে ডিএনটি জয়ী হলে ডা. শেরিং হন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী। রোববার (১৪ এপ্রিল) পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার কথা রয়েছে তার। ভোরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে সুরের ধারার আয়োজনে পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানে তিনি উপস্থিত থাকবেন। পরে যাবেন নিজের পুরনো শিক্ষাঙ্গন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে। বিমসটেকের সদস্য দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ঢাকায় এ জোটের সচিবালয়েও যাবেন লোটে শেরিং। তিনদিনের সফর শেষ করে ১৫ এপ্রিল তার ঢাকা ত্যাগ করার কথা রয়েছে। | null | সফররত ভুটানের প্রধানমন্ত্রী ডা. লোটে শেরিং বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে বাসস | national |
https://www.dailynayadiganta.com/dhaka/631683/নারায়ণগঞ্জে-নির্বাচনী-সভায়-পরিণত-আওয়ামী-লীগের-বিজয়-সমাবেশ | নারায়ণগঞ্জে নির্বাচনী সভায় পরিণত আওয়ামী লীগের বিজয় সমাবেশ | নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের আয়োজিত মুজিব শতবর্ষ ও বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী সমাবেশ শেষ পর্যন্ত দলটির নির্বাচনী সভায় পরিণত হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে সমাবেশে অংশ নেয়া কেন্দ্রীয় নেতারা আগামী ১৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে নৌকার মেয়র প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভীকে বিজয়ী করার আহ্বান জানিয়েছেন। শহরের দেওভোগের শেখ রাসেল পার্কে মুজিব শতবর্ষ ও বিজয়ের সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে এই সমাবেশের আয়োজন করা হলেও উপস্থিত বক্তাদের সকলের কণ্ঠেই ছিলো নির্বাচনী ইস্যু। এছাড়া সমাবেশে বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা মিছিলগুলো থেকেও মেয়রপ্রার্থী আইভীর পক্ষে স্লোগান ওঠে। নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলেও সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন না নারায়ণগঞ্জ ৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান। সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, 'আসছে সিটি করপোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে আজকে আমাদের এ বিজয় সমাবেশ। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা থাকলেও আমাদের নেত্রী ও প্রতীকের প্রতি প্রতিহিংসা রাখা যাবে না।' তিনি বলেন, 'আজকের এই সমাবেশ দেশে আমি আশ্বস্ত হয়েছি যে গতবার আমাদের আইভী প্রায় ৮০ হাজার ভোটে জিতেছিল। আসছে ১৬ জানুয়ারী নির্বাচনে অন্তত লক্ষাধিক ভোটে আইভী জিতবেন। আমি সকলকে অনুরোধ করবো বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের হাতে পায়ে ধরে শেখ হাসিনা ও নৌকার সালাম পৌছে দিবেন। কোনো ষড়যন্ত্র টিকবে না।' নানক বলেন, 'বিজয় সমাবেশ থেকে আমরা আবারো আইভীকে বিজয়ী করার আহবান জানচ্ছি।' নানক অভিযোগ করে বলেন, নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনে বিএনপি লেভেল পাল্টিয়ে প্রার্থী দিয়েছে। এটা তাদের আরেকটি কৌশল। তিনি আরো বলেন, 'আওয়ামী লীগে একমাত্র শেখ হাসিনা ছাড়া কেউই অপরিহার্য্য নয়। দলের জন্য একমাত্র তিনিই অপরিহার্য্য।' সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি, বি এম মোজাম্মেল হক, আহমদ হোসেন, মৃণাল কান্তি দাস এমপি, আবদুর রহমান, আড়াইহাজারে এমপি নজরুল ইসলাম বাবু, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল হাই, সেক্রেটারী আবু হাসনাত শহীদ বাদল। মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন। প্রধান বক্তা ছিলেন সেলিনা হায়াৎ আইভী। এদিকে নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগের আয়োজিত বিজয় সমাবেশকে ইঙ্গিত করে নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করেছেন স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার। তিনি বলেন, 'আমি ইসির কথা মেনে চলেছি, নারায়ণগঞ্জের ইতিহাসে বৃহৎ বিজয় র্যালিতে অংশ নিইনি আচরণবিধির কারণে। অথচ সরকারি দলের প্রার্থী আইভী শুক্রবার বিজয় সমাবেশে বক্তব্য রেখেছেন।' তৈমুর বলেন, 'সেখানে সংসদ সদস্যসহ নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করতে পারার মতো একাধিক নেতা ছিলেন। আজই প্রমাণ হয়ে গেছে ইসি নির্বাচনকে কোন দিকে নিতে চাচ্ছেন।' স্বতন্ত্র এই মেয়র প্রার্থী বলেন, আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থীর সমাবেশে উপস্থিতি ও নৌকার পক্ষে ভোট চাওয়ার মতো ঘটনায় প্রমাণ হয় নির্বাচন কমিশন নখদন্তহীন, তারা স্বাধীন নয়। | ঢাকা,নারায়ণগঞ্জ,আওয়ামী লীগ,নাসিক,নাসিক নির্বাচন,সেলিনা হায়াৎ আইভী | নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগের বিজয় সমাবেশে কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে মেয়রপ্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী | national |
https://www.ajkerpatrika.com/184/%E0%A6%AC%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%89%E0%A6%A1%E0%A7%87-%E0%A6%A8%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%A8-%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%B0 | বলিউডে নতুন কাপুর | মেয়েটার বাবার নাম সঞ্জয় কাপুর, কাকা অনিল কাপুর, দিদি সোনম কাপুর, দাদা অর্জুন কাপুর। বলিউডের পরিচিত সব নাম। তার আরেক বোন জাহ্নবী কাপুর এর মধ্যে প্রশংসা কুড়াতে শুরু করেছেন। আরেক বোন খুশি কাপুর ঘোষণা দিয়েছেন- যেকোনো সময় বলিউডে পা রাখবেন। সঞ্জয় কাপুর আর মাহি কাপুরের মেয়ে শানায়া কাপুরের তবে বসে থাকা শোভা পায়? বলিউডে নতুন অভিনেতা-অভিনেত্রীদের সুযোগ দেয়ার জন্য পরিচালক ও প্রযোজক করণ জোহার পরিচিত। বুলবুল সিনেমার তৃপ্তি দিমরি, গিল্টির গুরফাতেহ পিরজাদা, উরি-দ্য সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের ধরিয়া কারওয়া ও দোস্তানা ২ এর লক্ষ্যের মতো নবীন অভিনয়শিল্পীদের সিনেমায় সুযোগ দিয়েছেন তিনি।এবার করণ সিনেমায় আনছেন তার বন্ধু সঞ্জয় কাপুর ও মাহি কাপুরের বড় মেয়ে শানায়া কাপুরকে। নতুন ট্যালেন্ট হিসেবে ধর্মা কর্নারস্টোন এজেন্সির সঙ্গে কাজ করবেন শানায়া।ইনস্টাগ্রাম থেকে করণ জোহার এই ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, 'আমাদের পরিবারে নতুন আরও একটি সুন্দর সংযোজন। ধর্মা কর্নারস্টোন এজেন্সি স্কোয়াডে তোমাকে স্বাগত শানায়া। তার উৎসাহ ও অধ্যবসায় অবাক করার মতো। আপনাদের ভালোবাসা ও প্রার্থনা তার জন্য রাখবেন, সে ধর্মা কর্নারস্টোন এজেন্সির সঙ্গে জুলাই থেকে নতুন সিনেমার কাজ শুরু করতে যাচ্ছে।' ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানোর আগে জাহ্নবী কাপুরের সঙ্গে ক্যামেরার পেছনে কাজ করেছেন শানায়া। কার্গিল যুদ্ধের দুঃসাহসী বৈমানিক গুঞ্জন স্যাক্সেনার জীবনীনির্ভর এক ছবিতে সহকারী পরিচালক হিসেবে ছিলেন তিনি। এ নিয়ে ছবির প্রযোজক বাবা সঞ্জয় কাপুর বলেছেন, 'সন্তান যখন পেশাগত জীবন শুরু করে, বাবা-মায়ের জন্য সেটা আনন্দের এবং গর্বের। শানায়ার স্বপ্ন স্পর্শ করার যাত্রা শুরু হয়েছে। ক্লাসরুমের চেয়ে বরং ব্যবহারিক কাজ থেকে অভিজ্ঞতা অর্জন বেশি কার্যকর। অভিজ্ঞতাই সেরা শিক্ষা।'সোনম কাপুরও 'ব্ল্যাক' ছবিতে সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করেছিলেন। পরে সঞ্জয় লীলা বনসালির 'সাওয়ারিয়া' দিয়ে অভিনয় শুরু করে ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়ে যান তিনি। অর্জুন কাপুর 'কাল হো না হো' আর 'সালাম-ই-ইশক' ছবিতে নিখিল আদভানির সহকারী ছিলেন। পরে ২০১২ সালে 'ইশকজাদে' দিয়ে অভিনয় শুরু করেন। সুতরাং পারিবারিক ধারা বজায় রেখেই শুরু করছেন শানায়া কাপুর। কিছুদিন আগে ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট পাবলিক করেছেন শানায়া কাপুর আর এরই মধ্যে এ মাধ্যমে তার অনুসরণকারী হয়েছে প্রায় সাড়ে চার লাখ। সেখানে সিনেমায় অভিষেকের সুখবর প্রকাশ করেছেন শানায়া। | null | বলিউডে নতুন কাপুর | entertainment |
https://samakal.com/probas/article/210354298/কানাডা-প্রবাসী-আনোয়ারুল-হক-এ্যন্ডি-মারা-গেছেন | কানাডা প্রবাসী আনোয়ারুল হক এ্যন্ডি মারা গেছেন | কানাডার আলবার্টা প্রদেশে বাংলাদেশ-কানাডা অ্যাসোসিয়েশন অব ক্যালগেরির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য আনোয়ারুল হক এ্যন্ডি মারা গেছেন। স্থানীয় সময় রোববার ভোররাতে তিনি মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৮১ বছর। আনোয়ারুল হক বেশকিছু দিন বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন। তিনি স্ত্রী ছেলে-মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। উল্লেখ্য, আনোয়ারুল হক 'এ্যন্ডি ভাই' নামে প্রবাসী বাঙালিদের মধ্যে জনপ্রিয় ছিলেন এবং তিনি ৫০ বছর ধরে ক্যালগেরি শহরে বসবাস করছিলেন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি জিওলজিস্ট ছিলেন।তার মৃত্যুতে কমিউনিটিতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। আনোয়ারুল হকের মৃত্যুতে বাংলাদেশ-কানাডা অ্যাসোসিয়েশন অব ক্যালগেরিসহ বিভিন্ন সংগঠন শোক প্রকাশ করেছে। এ ছাড়াতার পরিবারের সদস্যরা সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন। | শোক সংবাদ,আনোয়ারুল হক এ্যন্ডি | আনোয়ারুল হক এ্যন্ডি | life-health |
https://www.bd-pratidin.com/country/2022/01/04/727309 | কালিয়াকৈরে বাসে অগ্নিকাণ্ড | গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা এলাকায় মঙ্গলবার ভোরে একটি বাসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। কালিয়াকৈর ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ওয়্যারহাউস ইন্সপেক্টর সাইফুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার ভোরে একটি বাসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে, ততক্ষণে বাসের বেশির ভাগ অংশই পুড়ে যায়। ধারণা করা হচ্ছে, কয়েল থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে। বিডি প্রতিদিন/কালাম | অগ্নিকাণ্ড, কালিয়াকৈর, বাস | কালিয়াকৈরে বাসে অগ্নিকাণ্ড | national |
https://www.ajkerpatrika.com/168342/%E0%A6%A1%E0%A6%BF%E0%A6%AE%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%BF-%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A7%9C%E0%A7%87-%E0%A6%A4%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A7%87-%E0%A6%97%E0%A7%87%E0%A6%9B%E0%A7%87-%E0%A6%AB%E0%A6%B8%E0%A6%B2 | ডিমলায় তিস্তার পানি বেড়ে তলিয়ে গেছে ফসল | উজানে ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে নীলফামারী ডিমলায় বৃদ্ধি পেয়েছে তিস্তা নদীর পানি। অসময়ে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তিস্তা অববাহিকার চরাঞ্চলে সহস্রাধিক একর জমিতে উঠতি মরিচ, পেঁয়াজ, মিষ্টি কুমড়া, গম, তামাক ও ভুট্টা খেত পানিতে তলিয়ে যায়। এদিকে নদীর পানি দ্রুত নিষ্কাশনের জন্য তিস্তা ব্যারেজের বন্ধ ৪৪টি গেটের মধ্যে ৮টি গেট খুলে দিয়ে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে ব্যারেজ কর্তৃপক্ষ।পানি উন্নয়ন বোর্ড ডালিয়া ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফা-উদ-দৌলা আজকের পত্রিকাকে জানান, উজানের ঢলে গত চার দিনে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমানে তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে সাত হাজার কিউসেক পানি রয়েছে। যা চৈত্র মাসের এ সময়ে এত পরিমাণ পানি নদীতে থাকে না। এর মধ্যে ১১০০ কিউসেক পানি সেচ প্রকল্পের কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। তবে দেশের উত্তরাঞ্চলে কয়েক দিনের ভারী বর্ষণে ইরি-বোরো খেতে পানি জমে থাকায় এবং সেচের কাজে পানি কম ব্যবহার হওয়ায় ব্যারেজ এলাকায় পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।সরেজমিন দেখা যায়, নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার পশ্চিম ছাতনাই ইউনিয়নের কালীগঞ্জ জিরো পয়েন্ট দিয়ে উজানের স্রোতোধারায় পানি প্রবেশ করছে হু-হু করে। যা দ্রুত তিস্তা ব্যারাজের খুলে দেওয়া ৮টি গেট দিয়ে চলে যাচ্ছে ভাটির দিকে। গত কয়েক দিন আগেও যে নদীর বুকে ধু-ধু বালুচর দেখা গিয়েছিল, তা এখন পানিতে ভরে গিয়ে নদী টইটম্বুর হয়ে পড়েছে।ডিমলা খগাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের কিসামতের চরের পেঁয়াজ চাষি হেলাল মিয়া জানান, চৈত্র মাসে তিস্তায় পানি সংকট থাকে। এ সময় নদীর বুকে জেগে ওঠা চরে নানা ধরনের ফসলের চাষাবাদ করে চরবাসী। গত তিন দিন থেকে বন্যার মতো পানি বইছে তিস্তা নদীতে। এতে তাঁর এক একর জমিতে উঠতি পেঁয়াজ খেত দুই দিন থেকে পানির নিচে তলিয়ে গিয়ে নষ্ট হয়ে গেছে।তিনি আরও জানান, 'চরের অনেক কৃষকের মরিচ, পেঁয়াজ, মিষ্টি কুমড়া, তামাক ও ভুট্টা খেত এখনো পানির নিচে তলিয়ে আছে।'উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সেকেন্দার আলী জানান, তিস্তায় পানি বাড়ায় নদীর বুকে জেগে ওঠা চরে আবাদ করা কিছু ফসল পানিতে ডুবেছে। তবে ব্যারেজের গেট খুলে দেওয়ায় উজানের পানি দ্রুত নেমে যাচ্ছে। শুকনো মৌসুম ও পানি নেমে যাওয়ায় ফসলের তেমন ক্ষতির সম্ভাবনা নেই। বরং কিছু ফসলের উপকার হবে।ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. বেলায়েত হোসেন আজকের পত্রিকাকে জানান, কৃষকদের ক্ষতির বিষয়টি নিরূপণের জন্য কৃষি বিভাগকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। | রংপুর বিভাগ,কৃষক,পানি,ছাপা সংস্করণ,রংপুর সংস্করণ,দিনাজপুর নীলফামারী গাইবান্ধা,ফসল | ডিমলায় তিস্তার পানি বৃদ্ধিতে ডুবে গেছে ফসলের খেত। আজেকর | national |
https://www.bhorerkagoj.com/2019/10/08/%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a7%9c%e0%a6%bf%e0%a6%ad%e0%a6%be%e0%a7%9c%e0%a6%be-%e0%a6%ac%e0%a7%83%e0%a6%a6%e0%a7%8d%e0%a6%a7%e0%a6%bf%e0%a6%a4%e0%a7%87-%e0%a6%ad%e0%a6%be%e0%a7%9c%e0%a6%be%e0%a6%9f%e0%a6%bf/ | বাড়িভাড়া বৃদ্ধিতে ভাড়াটিয়াদের নাভিশ্বাস | আইন না মেনে ঢাকার বাসা মালিকরা প্রতি বছর বাড়িভাড়া বৃদ্ধি করায় ভাড়াটিয়াদের নাভিশ্বাস উঠেছে। এমন অভিযোগ করেছে ভাড়াটিয়া পরিষদ নামক একটি সংগঠন। মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) রাজধানীর তোপখানা রোডের নির্মল সেন হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করা হয়। সংগঠনের সভাপতি বাহরানে সুলতান বাহার বলেন, প্রচলিত আইন থাকলেও বাড়ির মালিকরা তা মানেন না। তারা তাদের খেয়াল খুশিমতো প্রতি বছর ভাড়া বাড়ান। এ বিষয়টি ভাড়াটিয়াদের নাভিশ্বাসে পরিণত হয়েছে। বাড়ি মালিকদের আচরণেও ভাড়াটিয়ারা নাজেহাল হন। এতে ভাড়াটিয়ারা মানবেতর জীবনযাপন অতিবাহিত করতে বাধ্য হচ্ছেন। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের সঙ্গে বাড়িভাড়া বাড়ানো হয়। এর সঙ্গে বাড়িভাড়া বাড়ানোর কোনো যৌক্তিক সম্পর্ক নেই। সংবাদ সম্মেলনে সাত দফা দাবি তুলে ধরা হয়। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- সরকার বা সিটি কর্পোরেশন নির্ধারিত ভাড়া বাসার প্রতিটি গেটে ঝুলিয়ে রাখতে হবে। সিটি কর্পোরেশন প্রকৃত ভাড়া জেনে হোল্ডিং ট্যাক্স নির্ধারণ ও আদায় করবে। বাড়িভাড়ার অবশ্যই চুক্তি থাকতে হবে। গ্যাস, পানি কিংবা বিদ্যুৎ সংযোগে কোনো অনিয়ম করা যাবে না। ব্যাচেলরদের জন্য ৩০ শতাংশ বাসা সংরণ করতে হবে এবং ভাড়াটিয়ার স্বার্থ সংরণে জনপ্রতিনিধিদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। এ সময় সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক খাতুনে জান্নাত ফাতেমা খানম, সদস্য মোহম্মাদ মোস্তফা, শামিম আহমেদ, আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। | null | রাজধানী | national |
https://bangla.dhakatribune.com/international/2021/11/03/16359269278407215 | আইফোনের সঙ্গে চার্জার না পেয়ে অ্যাপলের বিরুদ্ধে ৫ চীনা শিক্ষার্থীর মামলা | আইফোনের সঙ্গে চার্জার না পেয়ে অ্যাপলের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন চীনের পাঁচ শিক্ষার্থী। এ বছর মে মাসে মামলাটি দায়ের করেন তারা। তবে এই টেক জায়ান্টের বিরুদ্ধে মামলা জিততে পারবেন কিনা তা নিয়ে চীনে ব্যাপক জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়েছে। গ্লোবাল টাইমস এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। সাংহাই ল জার্নালের বরাত দিয়ে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মে মাসে ফ্যাং নামে এক শিক্ষার্থী এবং তার অন্যান্য সহপাঠীরা বেইজিং এর ডংচেং জেলা আদালতে একটি মামলা করেন। এ সময় সেবা চুক্তি ভঙ্গ করায় এবং মামলার ব্যয় নির্বাহের জন্য ১০০ ইউয়ান (১৫.৬৭ ডলার) অর্থ চাওয়া হয়। এ শিক্ষার্থীদের প্রতি তাদের সমর্থন জানিয়ে অনেকেই বলেছেন, মোবাইল ফোন চার্জার ছাড়া ব্যবহার করা যায় না, আইফোনের সঙ্গে চার্জার না দেওয়াটাকে "পণ্যের ত্রুটি" হিসাবে গণ্য করা যেতে পারে। আবার অনেকেই যুক্তি দেখিয়ে বলেছেন, আইফোন ক্রেতারা এই পণ্যটি কেনার সময় চার্জার না থাকার বিষয়ে সম্মত হয়েই সেটি ক্রয় করেন। মামলা দায়ের করা এই শিক্ষার্থীরা বেইজিং ইউনিভার্সিটি অব কেমিকেল টেকনোলজি এবং সাংহাইয়ের ডংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের। ফ্যাং নামে এক শিক্ষার্থী একটি আইফোন-১২ প্রো ম্যাক্স কিনেছিলেন। সেপ্টেম্বরে অনলাইনে পরিচালিত এ মামলার শুনানি প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী হয়েছিল।ে এদিকে, অ্যাপলের আইন প্রতিনিধিরা বলেছেন, আইফোন-১২ প্রো ম্যাক্সের মোড়কে পরিষ্কার করে বলা হয়েছে ভেতরে কোনো চার্জার নেই। এছাড়া অ্যাপল পরিবেশ সুরক্ষা এবং প্যাকেজিং ব্যয় হ্রাসের উদ্দেশ্যে চার্জার অন্তর্ভুক্ত করা হয় না। এর আগেও আইফোনের সঙ্গে চার্জার না দেওয়ায় মামলার মুখে পড়ে অ্যাপল। আইফোন ১২-এর সঙ্গে চার্জার না দেওয়ায় অ্যাপলকে ২০ লাখ ডলার জরিমানা করেন ব্রাজিলের আইনপ্রণেতারা। তারা যুক্তি দেখিয়েছিলেন, চার্জার ছাড়া আইফোন বিক্রি করে অ্যাপল গ্রাহকদের বিভ্রান্ত করছে। | null | আইফোন-চার্জার আইফোনের সঙ্গে চার্জার না দেওয়ায় অ্যাপলের বিরুদ্ধে মামলা করেছে ৫ চীনা শিক্ষার্থী। | international |
https://www.ajkerpatrika.com/110661/%E0%A6%AF%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A6%B0-%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%B9%E0%A6%A4-%E0%A7%AA-%E0%A6%86%E0%A6%B9%E0%A6%A4-%E0%A7%A9%C2%A0 | যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত ৪, আহত ৩ | যুক্তরাষ্ট্রে কলোরাডোতে একাধিক স্থানে এক বন্দুকধারীর গুলিতে চারজন নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় সোমবারের এই ঘটনায় একজন পুলিশ সদস্যসহ আহত হয়েছেন আরও তিনজন। যুক্তরাষ্ট্র পুলিশ জানিয়েছে, পুলিশের গুলিতে সন্দেহভাজন হামলাকারীও নিহত হয়েছেন।একটি সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, স্থানীয় সময় বিকেল ৫টায় হামলা শুরু করে ওই বন্দুকধারী। তিনি ডেনভার ও লেকউডের কমপক্ষে চার জায়গায় হামলা চালান। ডেনভারে দুই নারীকে নিহত ও এক ব্যক্তি আহত হন।পরে ওই বন্দুকধারী পার্শ্ববর্তী শহর লেকউডে যান। সেখানে তাঁর হামলায় একজন ব্যক্তি নিহত ও আরেকজন ব্যক্তি আহত হন।লেকউড পুলিশের মুখপাত্র জন রোমেরো বলেন, এরপর আমাদের সদস্যদের সঙ্গে ওই হামলাকারীর গুলি বিনিময় হয়। বন্দুকযুদ্ধে একপর্যায়ে ওই হামলাকারীর মৃত্যু হয়।গোলাগুলিতে পুলিশের একজন সদস্য আহত হয়েছেন বলেও জানান রোমেরো।যুক্তরাষ্ট্র অন্যতম একটি বড় সমস্যা বন্দুক হামলার ঘটনা। দেশটিতে কঠোর বন্দুক আইন না থাকায় প্রায়ই এমন হামলার ঘটনা ঘটে। | যুক্তরাষ্ট্র,অপরাধ,নিহত,আহত,গুলি | যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডোতে বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত চার। টুইটার | international |
https://www.ajkerpatrika.com/4009/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%B6%E0%A6%82%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%AA%E0%A6%9E%E0%A7%8D%E0%A6%9A%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%96-%E0%A6%87%E0%A6%A8%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%AE | ভারতের প্রশংসায় পঞ্চমুখ ইনজামাম | ঢাকা: জুলাইয়ে শ্রীলঙ্কা সফরে ভারতীয় দলের কোচের দায়িত্ব পেতে যাচ্ছেন রাহুল দ্রাবিড়। একই সময়ে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল খেলতে ইংল্যান্ডে থাকবেন বিরাট কোহলিরা। কোহলিদের সঙ্গে থাকবেন নিয়মিত কোচ রবি শাস্ত্রী। বাধ্য হয়েই এমন সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে ভারতীয় বোর্ডকে (বিসিসিআই)। ভারতের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন ইনজামাম-উল-হক।ইনজামাম মনে করেন, শ্রীলঙ্কা সফরে যোগ্য ব্যক্তিকেই দায়িত্ব দিতে যাচ্ছে ভারতীয় বোর্ড। আগেও ভারতীয় দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন দ্রাবিড়। ২০১৪ সালে ভারতের ইংল্যান্ড সফরে দলের ব্যাটিং পরামর্শক হিসেবে কাজ করেছিলেন। পরে ভারতীয় 'এ' দল ও অনূর্ধ্ব-১৯ দলকেও কোচিং করিয়েছেন। চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন ২০১৮ যুব বিশ্বকাপ। 'দ্য ওয়াল' কোচিং ক্যারিয়ারে এরই মধ্যে নিজেকে নিয়েছেন অন্য উচ্চতায়।কোচ হিসেবে দ্রাবিড়কে প্রশংসায় ভাসাচ্ছেন ইনজামাম। ভারতীয় ক্রিকেটে দ্রাবিড়ের অবদানের কথা মনে করিয়ে দিয়ে ইনজি বলছেন, 'আগেও কোচ হিসেবে দ্রাবিড়ের কথা বলেছি। অনূর্ধ্ব-১৯ দল থেকে দ্রাবিড় যেভাবে খেলোয়াড় সরবরাহ করে ভারতীয় দলকে এগিয়ে নিচ্ছে, সত্যিই অসাধারণ! শোনা যাচ্ছে শ্রীলঙ্কা সফরে দ্রাবিড় কোচ হয়ে যাচ্ছে, সে দলের দেখাশোনা করবে। দারুণ প্রশংসনীয় উদ্যোগ।'ইনজামাম ভারতের ঘরোয়া ক্রিকেটের প্রশংসা করেন মাঝেমধ্যেই । পাকিস্তান কিংবদন্তি মনে করেন, ভারত যেভাবে একই সময়ে জাতীয় দলে খেলতে ৫০ ক্রিকেটার তৈরি রেখেছে, সেটি আসলে ঘরোয়া ক্রিকেটেরই ফসল। ইনজামাম বলেছেন, 'ভারতের ক্রিকেট কাঠামো দেখে অন্য দেশগুলোর শেখা উচিত। বিশ্ব ক্রিকেটকে পাল্টে দিয়েছে ভারত। দুটো আলাদা দল একই সময় ভিন্ন দুটি দেশে খেলবে, এটা দারুণ ব্যাপার। সাফল্য পেলে এটা উদাহরণ হয়ে থাকবে।' | ক্রিকেট | শ্রীলঙ্কা সফরে কোচ হিসেবে দ্রাবিড়কেই যোগ্য মনে করেন ইনজামাম। | sports |
https://www.ajkerpatrika.com/129802/%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%87%E0%A6%9C%E0%A6%BF%E0%A6%82-%E0%A6%85%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AA%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%87-%E2%80%98%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%B6%E0%A6%95%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E2%80%99-%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A7%9C%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%A4 | বেইজিং অলিম্পিকে 'নাশকতা' করতে ক্রীড়াবিদদের হাত করছে যুক্তরাষ্ট্র: চীন | আসন্ন শীতকালীন বেইজিং অলিম্পিকে 'নাশকতা' করতে যুক্তরাষ্ট্র ক্রীড়াবিদদের টাকা দিয়ে কিনে নিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে চীন। চীনের রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত সংবাদপত্র চায়না ডেইলির এক প্রতিবেদনে এমন অভিযোগ করা হয়েছে। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও এই অভিযোগের বিষয়টি স্বীকার করেছে। সংবাদমাধ্যম রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য ওঠে এসেছে।চায়না ডেইলি নামে ওই সংবাদপত্রটি জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র বেইজিং অলিম্পিককে বাধাগ্রস্ত করতে এবং অলিম্পিক গেমস চলাকালে নাশকতা করতে বিভিন্ন দেশের ক্রীড়াবিদদের টাকা দিয়ে হাত করেছে। এর মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র অলিম্পিক আয়োজনে চীনের উদ্যোগ বিফল করে দুর্নামের অংশীদার বানাতে এসব করছে বলে অভিযোগ বেইজিংয়ের।শীতকালীন অলিম্পিক শুরু হওয়ার মাত্র এক সপ্তাহ আগে চীনের পক্ষ থেকে এই অভিযোগ করা হলো। এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র কূটনৈতিকভাবে অলিম্পিক গেমস বর্জন করেছে এবং এই তালিকায় যুক্ত হয়েছে আরও কয়েকটি দেশ।চীনের রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসীন কমিউনিস্ট পার্টির প্রচারণা বিভাগের নিয়ন্ত্রণাধীন ইংরেজিভাষী সংবাদপত্র চায়না ডেইলি শুক্রবার নাম উল্লেখ না করে একটি সূত্রের বরাত দিয়ে বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র চীনের প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করতে, প্রতিযোগিতায় নিষ্ক্রিয়ভাবে খেলতে এবং এমনকি অংশ নিতে অস্বীকার করতেও বিভিন্ন দেশের ক্রীড়াবিদদের প্ররোচিত করছে।'এ ছাড়াও সংবাদপত্রটি বলছে, ওয়াশিংটন নামমাত্র অংশ নেওয়া ওই সব প্রতিযোগীর সুনাম রক্ষায় প্রচুর ক্ষতিপূরণ দিতে বিপুল অর্থ ছড়াবে।এ বিষয়ে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র শনিবার রয়টার্সকে জানিয়েছেন, ওই প্রতিবেদনে (চায়না ডেইলির প্রতিবেদন) খেলাধুলার রাজনীতিকরণ, শীতকালীন অলিম্পিকে নাশকতা ও হস্তক্ষেপ করতে আমেরিকার প্রকৃত অভিপ্রায় প্রকাশ পেয়েছে। ওই মুখপাত্র ক্রীড়াবিদদের 'কিনে নেওয়া', গেমস চলাকালে 'নাশকতা' করার মার্কিন প্রচেষ্টার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এসব প্রচেষ্টা ব্যর্থ হতে বাধ্য।এদিকে, বেইজিংয়ের মার্কিন দূতাবাসের এক মুখপাত্র রয়টার্সকে এক ই-মেইলে জানিয়েছেন, 'বিশ্বব্যাপী অলিম্পিক গেমসে অংশগ্রহণের জন্য যে প্রচারণা চলছে তা যুক্তরাষ্ট্র বাধাগ্রস্ত করেনি, করছেও না।' তিনি আরও বলেন, 'মার্কিন ক্রীড়াবিদরা অলিম্পিক গেমসের নিয়মানুযায়ী এই গেমসে অংশগ্রহণের অধিকার রাখেন।'এর আগে গত ডিসেম্বরে যুক্তরাষ্ট্র বেইজিং অলিম্পিক কূটনৈতিকভাবে বর্জনের ঘোষণা দেয়। | যুক্তরাষ্ট্র,চীন,বেইজিং,অলিম্পিক,শীতকাল | যুক্তরাষ্ট্রে বেইজিং অলিম্পিকে নাশকতা করতে চায় বলে অভিযোগ করেছে চীন। | international |
https://www.bd-pratidin.com/country/2021/01/03/603914 | হেলিকপ্টারে সালিশে এসে জনরোষের মুখে আসক'র প্রতিনিধিদল | চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলায় হেলিকপ্টারযোগে বিবাদীর বক্তব্য শুনতে এসে হাস্যরসের জন্ম দিয়েছেন ঢাকার আইন সহায়তা কেন্দ্র (আসক) ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধিদল। আসক ঢাকা বিভাগীয় প্রধান মুহম্মদ লোকমান হোসেন সাঈদীসহ তার সাথে থাকা কয়েকজন স্থানীয়দের তোপের মুখেও পড়েন। এতে পূর্বনির্ধারিত গাড়ি বহরের সম্মাননাও ভেস্তে যায়। ঢাকা থেকে হেলিকপ্টরযোগে নামার পরপরই উপস্থিত সংবাদিকদের প্রশ্নে হতবিহ্বল হয়ে পড়েন আগতরা। শনিবার উপজেলার আন্দুলবাড়িয়ায় এ ঘটনা ঘটেছে। কিছুদিন ধরে প্রথম স্ত্রীর তিন ছেলের সাথে বাবা আব্দুল লতিফ বিশ্বাসের বিরোধ দানা বাধে। একই বাড়িতে থাকার পরিবেশ নেই বলেও অভিযোগ তোলেন ছেলেরা। বিরোধ নিষ্পত্তির লক্ষ্যে কয়েক দফা বৈঠকের পর গত ১১ অক্টোবর চুক্তিনামায় সম্মত হয়ে উভয়পক্ষ স্বাক্ষর করেন। ছেলেদের ৩০টি ট্রাকসহ কয়েকটি ব্যবসার কর্তৃত্বও লতিফ বিশ্বাস দেন। ওই চুক্তিপত্র মোতাবেক উভয়পক্ষ চলছিলেন। হঠাৎ ছোট ছেলে মোস্তফা তাজওয়ার ও তার মা আসক ফাউন্ডেশনে আবেদন করেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বিবাদীর বক্তব্য শোনার জন্য দিন ও স্থান নির্ধারণ করে আব্দুল লতিফকে নোটিশ দেয় আসক ফাউন্ডেশন। আসক ফাউন্ডেশনের ঢাকা জোনের সহকারী বিভাগীয় প্রধানসহ চারজন শনিবার দুপুর ১২টার পরপরই হেলিকপ্টারযোগে এসে আন্দুলবাড়িয়া বিদ্যালয় মাঠে নামেন। দলনেতা লোকমান হোসেন সাঈদী নিজেকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থার অধীন আইন সহায়তা কেন্দ্র ফাউন্ডেশনের ঢাকা বিভাগীয় প্রধান বলে পরিচয় দেন। আর অন্য তিনজনের মধ্যে কেএম আবদুল মোমেন সিরাজী নিজেকে বিটিভি ও বিটিভি ওয়ার্ল্ডের উপস্থাপক, মাসুম বিল্লাহ আইন সহায়তা কেন্দ্র ফাউন্ডেশনের সহকারী প্রধান ও আলতাফ হোসেন অতিরিক্ত বিভাগীয় প্রধান হিসেবে পরিচয় দেন। হেলিকপ্টার থেকে নামার পরই সাংবাদিকদের প্রশ্নে কিছুটা বেসামাল হয়ে পড়েন আকস প্রতিনিধিদল। একেক সময় একেক জবাবে স্থানীয় সাংবাদিকদের মধ্যে হাস্যরসের খোরাক জন্মায়। পরে আব্দুল লতিফ বিশ্বাসের বাড়ি সংলগ্ন কার্যালয়ে পৌঁছান। প্রতিনিধিদলের নোটিশ ও অভিযোগকারীদের অভিযোগের অমিল বিষয়ে সাংবাদিক, আইনজীবী ও জনপ্রতিনিধিরা প্রশ্ন তুললে জবাব দিতে ব্যর্থ হন প্রতিনিধিদল। এসময় স্থানীয়রা চরম সমালোচনা করেন আগতদের। অবশেষে সাংবাদিক-জনতার তোপের মুখে কথিত মানবাধিকার সংস্থার নেতৃবৃন্দ স্থান ত্যাগ করে হেলিকপ্টারযোগে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেন। জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, স্থানীয় সামান্য একটি বিষয় নিয়ে হেলিকপ্টারে চড়ে আইন সহায়তা কেন্দ্রের নামে এখানে আসা ঠিক হয়নি। পরিস্থিতি অশান্ত হয়ে উঠেছিল। কিন্তু পুলিশের তৎপরতায় সেটা হয়নি। বিডি প্রতিদিন/এমআই | হেলিকপ্টারে, সালিশে, এসে, জনরোষের, মুখে, আসক’র, প্রতিনিধিদল | হেলিকপ্টারযোগে সালিশে আসেন আসক ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধিদল। | national |
https://www.prothomalo.com/bangladesh/ঢাবির-ক্যানটিনে-খাবারের-দাম-অস্বাভাবিক-বাড়ানোর-অভিযোগ | ঢাবির ক্যানটিনে খাবারের দাম অস্বাভাবিক বাড়ানোর অভিযোগ | পবিত্র রমজানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আবাসিক হলগুলোর ক্যানটিনে খাবারের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে বলে অভিযোগ করেছে দুটি ছাত্রসংগঠন। সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট (মার্ক্সবাদী) ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের (বাসদ) অভিযোগ, শিক্ষার্থীদের জন্য সুলভ, পুষ্টিকর ও মানসম্মত খাবার নিশ্চিত করার ব্যাপারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সম্পূর্ণ উদাসীন। গণমাধ্যমে পাঠানো পৃথক বিবৃতিতে ক্যানটিনের খাবারের দাম কমানোর পাশাপাশি মান নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন ছাত্র ফ্রন্টের (মার্ক্সবাদী) বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সালমান সিদ্দিকী ও সাধারণ সম্পাদক প্রগতি বর্মণ এবং ছাত্র ফ্রন্টের (বাসদ) বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি রাজিব কান্তি রায় ও সাধারণ সম্পাদক সুহাইল আহমেদ। ক্যানটিনে খাবারের দাম বাড়ানোকে 'অযৌক্তিক, শিক্ষার্থী স্বার্থবিরোধী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের চরিত্রের সঙ্গে সাংঘর্ষিক' বলে আখ্যা দিয়েছে ছাত্র ফ্রন্ট (মার্ক্সবাদী)।এ প্রেক্ষাপটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে কয়েকটি দাবি জানিয়েছে ছাত্র ফ্রন্ট (মার্ক্সবাদী। দাবিগুলো হলো কম টাকায় প্রয়োজনীয় পুষ্টিমানসম্পন্ন খাবার নিশ্চিত করা, খাবারের মূল্যতালিকা নির্ধারণ, মূল্যতালিকা টাঙিয়ে নির্ধারিত দাম ও মান নিশ্চিত করতে তদারকি জোরদার, ফাও খাওয়ার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ, অতি দ্রুত ক্যানটিনগুলো বিশ্ববিদ্যালয় ও হল প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে নিয়ে এসে ডাইনিং পদ্ধতি চালু করে পর্যাপ্ত ভর্তুকি নিশ্চিত করা। ছাত্র ফ্রন্টের (বাসদ) বিবৃতিতে বলা হয়, একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্ঞানচর্চার জায়গাকে বিকশিত করার জন্য শিক্ষার্থীদের সুস্বাস্থ্য খুবই জরুরি। তার জন্য সুলভ, পুষ্টিকর ও মানসম্মত খাবারের ব্যবস্থা থাকা দরকার। অথচ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ ব্যাপারে সম্পূর্ণ উদাসীন। একদিকে বন্ধ হয়ে আছে ডাইনিং সিস্টেম, অন্যদিকে ক্যানটিনে খাবারের দাম আকাশচুম্বী। মানও যাচ্ছেতাই। ছাত্র ফ্রন্ট (বাসদ) অবিলম্বে হলগুলোয় খাবারের দাম কমানোর জন্য প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ, ভর্তুকি দেওয়া, প্রশাসনিক উদ্যোগে ডাইনিং সিস্টেম চালু, খাবারের দাম ও মান নিয়ন্ত্রণে বিশেষ মনিটরিং সেল গঠনের দাবি জানায়। | ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়,রমজান মাস,ঢাকা,ছাত্র রাজনীতি,খাবার,উচ্চশিক্ষা | ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলের ক্যানটিন | national |
https://www.bhorerkagoj.com/2019/08/06/%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a6%bf%e0%a6%95%e0%a6%97%e0%a6%9e%e0%a7%8d%e0%a6%9c%e0%a7%87-%e0%a6%a1%e0%a7%87%e0%a6%99%e0%a7%8d%e0%a6%97%e0%a7%81%e0%a6%a4%e0%a7%87-%e0%a6%af%e0%a7%81%e0%a6%ac%e0%a6%95/ | মানিকগঞ্জে ডেঙ্গুতে যুবকের মৃত্যু | এবার ডেঙ্গু রোগে মানিকগঞ্জের মুন্নু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাজু খান (৪০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার ভোরে তার মৃত্যু হয়। তবে মঙ্গলবার দুপুরে হাসপাতালের পরিচালক ডা. মাহবুবুল হাসান ও জেলা সিভিল সার্জন আনোয়ারুল আমিন আকন্দ মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। মুন্নু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মাহবুবুল হাসান ও সিনিয়র স্টাফ নার্স নমিতা তজু জানান, রাজু খান গত শনিবার (৩ আগস্ট) জ্বর ও সার্জারি সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। রোববার বিকেলে পরীক্ষা করে তার ডেঙ্গু ধরা পড়ে। সোমবার বিকেল ৫টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। তারা আরও জানান, বিষয়টি জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়কে তাৎক্ষণিক জানানো হয়। মানিকগঞ্জে কোনো ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যুর ঘটনা এটাই প্রথম। মানিকগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে মানিকগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে ৬৭ জন এবং মুন্নু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৭ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। | null | মুন্নু মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল | national |
https://samakal.com/capital/article/19031946/৬-ঘণ্টা-পর-এফ-আর-টাওয়ারের-আগুন-নিয়ন্ত্রণে | পৌনে ৬ ঘণ্টা পর এফ আর টাওয়ারের আগুন নিয়ন্ত্রণে | রাজধানীর বনানীতে এফ আর টাওয়ারে আগুন লাগার পৌনে ৬ ঘণ্টা পর তা পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে এসেছে। বৃহস্পতিবার দুপুর পৌনে ১টার দিকে আগুন লাগার পর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসে বলে ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। ভয়াবহ এই অগ্নিকাণ্ডে এখন পর্যন্ত সাতজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের সহকারী কমিশনার সাইদুল ইসলাম। তবে ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ বলছে, অগ্নিকাণ্ডে পাঁচজন নিহতের বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে। নিহতদের মধ্যে পাঁচজনের পরিচয় জানা গেছে। তারা হলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল ফারুক তমাল (৩০), দিনাজপুর সদর উপজেলার বালুয়ারা গ্রামের প্রয়াত আবুল কাশেমের ছেলে আব্দুল্লাহ আল মামুন (৪০), বরিশাল সদরের উত্তর কোরাপাড়া গ্রামের প্রয়াত মোতাহার হোসেন সরদারের ছেলে মনির হোসেন সরদার, রাজধানীর গেণ্ডারিয়ার আলমগঞ্জ রোডের প্রয়াত মিজানুর রহমানের ছেলে মাকসুদুর রহমান ও শ্রীলংকার নাগরিক নিরেশ ভিগনে রাজা। এদের মধ্যে তমাল ঢাবির ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী। তিনি ই ইউ আর বিডি সলিউশন-এ সেলস ম্যানেজার হিসেবে কাজ করতেন। আগুনে তার শরীরের ৯০ শতাংশ পুড়ে যায়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বার্ন ইউনিটে নেওয়ার পর তার মৃত্যু হয়। রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যান আব্দুল্লাহ আল মামুন, মনির হোসেন সরদার ও মাকসুদুর রহমান। এদের মধ্যে মামুন রাজধানীর কল্যাণপুরে থাকতেন। মনির থাকতেন গাজীপুরের টঙ্গির নিজ বাড়িতে। এছাড়া নিহত শ্রীলংকার নাগরিক নিরেশ স্ক্যান ওয়েল লজিস্টিক বিডি-এর ইমপোর্ট ম্যানেজার ছিলেন। আগুন লাগার সময় তিনি ভবনটির ১০ তলায় অবস্থান করছিলেন। অগ্নিকাণ্ডের পর ভবন থেকে লাফিয়ে পড়ে গুরুতর আহত হন নিরেশ। কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার আগেই তার মৃত্যু হয়। বৃহস্পতিবার দুপুর পৌনে ১টার দিকে ভবনটিতে আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের ৯টি ইউনিট প্রথমে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করলেও পরে আরও ১২টি ইউনিট যোগ দেয়। সঙ্গে বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টারও আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। এক পর্যায়ে অগ্নিনির্বাপনী কাজে যোগ দেয় সেনাবাহিনীও। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আগুন লাগার পর বহুতল ভবনটিতে আটকে পড়া অনেকে ভবনের কাঁচ ভেঙে দেয়াল বেয়ে নামার চেষ্টা করেন। এছাড়া অনেকে রশি দিয়ে নামতে গিয়ে আহত হন। | এফ আর টাওয়ার,বনানী,অগ্নিকাণ্ড | অগ্নিনির্বাপনী কাজে যোগ দেয় সেনাবাহিনীও | national |
https://samakal.com/bangladesh/article/201141985/শুধু-পাঠ্যবই-নয়-জানতে-হবে-পৃথিবীকে | 'শুধু পাঠ্যবই নয়, জানতে হবে পৃথিবীকে' | শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী হা-মীম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ. কে. আজাদ বলেছেন, শুধু পাঠ্যবই নয়; জানতে হবে সমাজ, দেশ, পৃথিবীকে। সবাইকে একদিন চলে যেতে হবে। নিজের জন্য যারা বাঁচে, তাদের কেউ মনে রাখবে না। যারা দেশ-সমাজের জন্য আত্মনিবেদন করেছে, যুগ যুগ বেঁচে থাকবে তাদের নাম। গতকাল শনিবার রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলে টাইমস মিডিয়া ভবনে 'প্রফেসর এস এম ফরহাদ স্কলারশিপ-২০২০' প্রদান অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন বৃত্তির প্রবর্তক এ. কে. আজাদ। এ বছরের এসএসসি পরীক্ষায় ফরিদপুর জেলায় সর্বোচ্চ নম্বরপ্রাপ্ত ছাত্রী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের মনীষা সূত্রধর এবং সর্বোচ্চ নম্বরপ্রাপ্ত ছাত্র জিলা স্কুলের সামিন ইয়াসার বৃত্তি পেয়েছে। এক হাজার ১৫০ নম্বরের মধ্যে মনীষা এক হাজার ৭৮ পেয়েছে। সামিন পেয়েছে এক হাজার ৬৫ নম্বর। ফরিদপুরের সরকারি রাজেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের সংগঠন 'শতবর্ষী রাজেন্দ্র কলেজ :আমার ভালবাসা'র উদ্যোগে ২০১৯ সাল থেকে প্রতিষ্ঠানটির সাবেক অধ্যাপক এস এম ফরহাদের নামে এ বৃত্তি দেওয়া হচ্ছে। এ. কে. আজাদের অর্থায়নে তার শিক্ষকের নামে এ বৃত্তি প্রবর্তন করা হয়েছে। মনীষা ও সামিন বৃত্তি পেয়ে বলেছে, তারা অনুপ্রাণিত। তাদের অভিভাবকরা জানিয়েছেন কৃতজ্ঞতা। যার নামে এই বৃত্তি সেই অধ্যাপক ফরহাদ অনুষ্ঠানে ভিডিও লিঙ্কের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে বলেন, বিত্তবানরা সাধারণত নিজের নামে বা বাবা-মায়ের নামে বৃত্তি দেয়। এ. কে. আজাদ শিক্ষকের নামে বৃত্তি প্রবর্তন করে বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। তিনি এ. কে. আজাদের মতো একজন ছাত্রের শিক্ষক হিসেবে গর্বিত, অভিভূত। এ. কে. আজাদ একজন আদর্শ মানুষ। বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের তিনি এ. কে. আজাদকে অনুসরণ করার উপদেশ দেন। তিনি বলেন, শুধু সর্বোচ্চ নম্বর নয়, আদর্শ মানুষ হতে হবে। দুই কৃতী শিক্ষার্থীর হাতে ক্রেস্ট, সনদ ও নগদ অর্থ তুলে দিয়ে এ. কে. আজাদ বলেন, হার্ভার্ড, অক্সফোর্ডের মতো দুনিয়াসেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তির চেষ্টা করতে হবে। এ জন্য শুধু পাঠ্যপুস্তক পড়লে হবে না। সমাজে অবদান রাখতে হবে। তা হতে পারে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের পাশে দাঁড়ানোর মাধ্যমেও। তিনি ঘোষণা দেন, বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা আন্তর্জাতিক র্যাংকিংয়ে সেরা ২৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটিতে ভর্তি হতে পারলে তাদের শিক্ষাব্যয় বহনে পাশে থাকবে হা-মীম গ্রুপ। এ. কে. আজাদ জানান, রাজেন্দ্র কলেজে অধ্যয়নরত যেসব শিক্ষার্থী অর্থকষ্টে রয়েছে, তাদের পাশে দাঁড়াতে চান। ফরিদপুর শহরের বিভিন্ন কলেজ থেকে পাস করে যেসব দরিদ্র শিক্ষার্থী দেশে শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছে, তাদেরও সহায়তার পরিকল্পনা রয়েছে। করোনাকালের পর আগামীতে বড় পরিসরে হবে বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন 'প্রফেসর এস এম ফরহাদ স্কলারশিপ পরিচালনা পরিষদ'-এর সভাপতি এবং সরকারের যুগ্মসচিব রেজাউল হায়দার। উপস্থিত ছিলেন সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী সাইদুর রহমান, সদস্য আবুল কালাম আজাদ। ভিডিও লিঙ্কের মাধ্যমে যুক্ত হন বৃত্তির অন্যতম উদ্যোক্তা অধ্যাপক রানা চৌধুরী। ভিডিও কলে নিজের কথা, স্মৃতি, অনুভূতি জানান রাজেন্দ্র কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক এম এ সামাদ। মেলবোর্ন থেকে যুক্ত হন জ্বালানি বিশেষজ্ঞ সালেক সুফি। আরও বক্তৃতা করেন সারদা সুন্দরী কলেজের অধ্যক্ষ কাজী গোলাম মোস্তফা, অধ্যাপক আজিজ হাসান, ফরিদপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেহেনা হাসান, জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক নাসিমা আখতার প্রমুখ। | প্রফেসর এস এম ফরহাদ স্কলারশিপ,এস এম ফরহাদ,স্কলারশিপ,রাজধানী | শনিবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ের টাইমস মিডিয়া ভবনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে হা-মীম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ. কে. আজাদসহ অতিথিদের সঙ্গে 'প্রফেসর এস এম ফরহাদ স্কলারশিপ-২০২০' প্রাপ্ত দুই শিক্ষার্থী মনীষা সূত্রধর ও সামিন ইয়াসার- | national |
https://www.bhorerkagoj.com/2020/05/31/%e0%a6%9a%e0%a6%b2%e0%a7%87-%e0%a6%97%e0%a7%87%e0%a6%b2%e0%a7%87%e0%a6%a8-%e0%a6%ab%e0%a7%81%e0%a6%9f%e0%a6%ac%e0%a6%b2%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%b8%e0%a6%be%e0%a6%b2%e0%a6%be%e0%a6%89%e0%a6%a6/ | চলে গেলেন ফুটবলার সালাউদ্দিন | সাবেক ফুটবলার এসএম সালাউদ্দিন কটনা উপসর্গ নিয়ে আজ মৃত্যুবরণ করেছেন। কয়েকদিন ধরেই জ্বর ছিল তার, সঙ্গে ছিল নিউমোনিয়া। করোনাতে আক্রান্ত কিনা জানতে পরীক্ষাও করেছিলেন। প্রথমে নেগেটিভ আসার পর যেন হাফ ছেড়ে বেঁচেছিলেন। আজ (রবিবারই) ডাক্তারের সঙ্গে অ্যাপয়েন্টমেন্ট ছিল। কিন্তু তার আগেই কাছের মানুষদের কাঁদিয়ে রবিবার ভোরের দিকে নারায়গঞ্জে নিজ বাসভবনে মারা যান তিনি। মৃত্যুকালে সাবেক এই ডিফেন্ডারের বয়স হয়েছিল ৬০ বছর। তিনি স্ত্রী ও দুই সন্তান রেখে গেছেন। বাদ আসর নামাজের জানাজার পর নিজ বাসার সামনে কবরস্থানে তাকে সমাহিত করার কথা। সাবেক ফুটবলার সালাউদ্দিনের মৃত্যুতে ক্রীড়াঙ্গনে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। তার ভাইয়ের ছেলে ফুটবলার কায়সার আহমেদ রাজীব গণমাধ্যমে বলেছেন, 'চাচার জ্বর থাকায় করোনা টেস্ট করেছিলেন। সেখানে নেগেটিভ আসায় তিনি কিছুটা স্বস্তি ফিরে পেয়েছিলেন। আজ ডাক্তারের কাছে তার যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এর আগেই না ফেরার দেশে তিনি চলে গেলেন।' সালাউদ্দিনের ফুটবল ক্যারিয়ার ৮০র দশক থেকে শুরু। বিজেএমসি, ওয়ান্ডারার্স ও মোহামেডানসহ অন্য ক্লাবেও খেলেছেন। জাতীয় দলে ১৯৮৯ থেকে ৯৩ সাল পর্যন্ত স্থায়ী ছিল তার ক্যারিয়ার। তবে সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার হিসেবে সেই সময়ের দুই সুপারস্টার মোনেম মুন্না ও কায়সার হামিদের আড়ালেই থাকতে হয়েছে তাকে। | ফুটবলার,মৃত্যু | সাবেক ফুটবলার সালাউদ্দিন | sports |
https://www.bhorerkagoj.com/2022/02/12/%e0%a6%b2%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a1%e0%a6%a8%e0%a7%87-%e0%a6%ab%e0%a6%bf%e0%a6%b0%e0%a7%87-%e0%a6%97%e0%a7%87%e0%a6%b2%e0%a7%87%e0%a6%a8-%e0%a6%96%e0%a6%be%e0%a6%b2%e0%a7%87%e0%a6%a6%e0%a6%be/ | লন্ডনে ফিরে গেলেন খালেদা জিয়ার নাতনি জাফিয়া | লন্ডনের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন খালেদা জিয়ার নাতনি ও প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর বড় মেয়ে জাফিয়া রহমান। শনিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৭টার দিকে লন্ডনের একটি ফ্লাইটে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ঢাকা ত্যাগ করেন তিনি। খালেদা জিয়ার গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয় সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। সূত্র জানায়, শনিবার আরাফাত রহমান কোকোর বড় মেয়ে জাফিয়া রহমান গুলশান বাসভবন ফিরোজা থেকে সকাল ৬টার দিকে হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে উদ্দেশে রওনা করেন। পরে তিনি সকাল ৭টার দিকে লন্ডনের একটি ফ্লাইটে ঢাকা ত্যাগ করেন। গত ৬ ফেব্রুয়ারি লন্ডন থেকে ঢাকা আসেন জাফিয়া রহমান। | খালেদা,জাফিয়া,নাতনি | খালেদা জিয়ার নাতনি জাফিয়া রহমান। | national |
https://samakal.com/bangladesh/article/220193530/আইপি-টিভিতে-সংবাদ-প্রচার-বন্ধের-দাবি-এটকোর | আইপি টিভিতে সংবাদ প্রচার বন্ধের দাবি এটকোর | আইপি টিভিতে সংবাদ প্রচার বন্ধের দাবি জানিয়েছে বেসরকারি টেলিভিশন মালিকদের সংগঠন এটকো। বৃহস্পতিবার দুপুরে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে বৈঠকে এটকোর নেতারা তাদের দাবি তুলে ধরেন। অ্যাসোসিয়েশন অব টেলিভিশন চ্যানেল ওনার্স (এটকো)-এর সিনিয়র সহ-সভাপতি ইকবাল সোবহান চৌধুরী মন্ত্রীকে একটি স্মারকপত্র দেন। ইকবাল সোবহান বলেন, এটকোর দাবি অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে ভিডিও সংবাদ প্রচারে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নেওয়ার বিধান করা এবং আইপি টিভিতে সংবাদ প্রচার এবং ইউটিউবের মাধ্যমে পত্রিকার সংবাদ প্রচার বন্ধ করা। তথ্যমন্ত্রী এটকোর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বলেন, 'সম্প্রচার নীতিমালা অনুযায়ী কোনো আইপি টিভি সংবাদ প্রচার করতে পারে না। এ ছাড়া, ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে সংবাদ প্রচার করা হচ্ছে এগুলো সম্প্রচার নীতিমালার পরিপন্থি। আপনাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা তাদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেব। একইসঙ্গে যে সমস্ত সংবাদপত্র ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে সংবাদ প্রচার করছে তাদের সেটির কোনো অনুমতি নেই। অনুমোদনহীন কিছু করা বেআইনি। আমরা সে ব্যাপারেও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।' 'আমরা চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে পত্রিকার অনলাইন ভার্সনগুলোকে অনুমোদন দিয়েছি। সেটিতে শর্ত ছিল, প্রিন্ট আকারে যে সংবাদ প্রকাশ করা হয়, সেটিই শুধু অনলাইনে যাবে। সেখানে ইউটিউব চ্যানেল জুড়ে দিয়ে সংবাদ প্রচার কিংবা টকশো করার কথা নয়। এগুলোর যেহেতু অনুমোদন নেই, আপনাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। মনে রাখতে হবে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার অবাধ তথ্যপ্রবাহে বিশ্বাস করে এবং সে কারণেই তার হাত ধরে দেশে বেসরকারি টিভি চ্যানেলের যাত্রা শুরু এবং আজ ৪৫টি টিভি লাইসেন্স পেয়েছে, দৈনিক পত্রিকা সাড়ে চারশ' থেকে ১৩ বছরে বেড়ে হয়েছে সাড়ে বারোশ', অনলাইন নিউজপোর্টাল কত হাজার তা পরীক্ষা-নিরীক্ষার বিষয়।' এটকো পরিচালকদের মধ্যে এটিএন চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান, বাংলাভিশনের আব্দুল হক, দীপ্ত টিভির কাজী জাহিদুল হাসান, সময় টিভির আহমেদ যোবায়ের, ডিবিসি নিউজের এম মঞ্জুরুল ইসলাম, নাগরিক টিভির নাভিদুল হক, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মিজান-উল-আলম এবং খাদিজা বেগম প্রমুখ সভায় অংশ নেন। | আইপি টিভি,তথ্যমন্ত্রী,এটকো,সংবাদ প্রচার,ঢাকা | তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে বৃহস্পতিবার তার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাক্ষাৎ করেন বেসরকারি টিভি চ্যানেলের মালিকরা।পিআইডি | national |
https://www.bd-pratidin.com/probash-potro/2021/12/04/717949 | লকডাউনের কথা ভাবছে না কুয়েত সরকার
| কুয়েতে করোনার (কোভিড-১৯) নতুন ধরন ওমিক্রনের কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। তাই কারফিউ বা লকডাউনে যাওয়ার কথা ভাবছে না দেশটিরসরকার। মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত ও সৌদি আরবে সম্প্রতি ওমিক্রন শনাক্তের খবর পাওয়ার পরে কুয়েত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় গত ২ ডিসেম্বরএক জরুরি বৈঠক করে। ওমিক্রন ঠেকাতে প্রতিবেশীদেশ কিংবা যেসব দেশ থেকে প্রবাসীরা কুয়েত প্রবেশ করছেন, তাদের যথাযথ স্বাস্থ্য সুরক্ষা আরও কঠোরভাবে নিশ্চিত করা হচ্ছে। এজন্য কুয়েতের স্থল, নৌ ও বিমানবন্দরে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তবে দেশটিতে অবস্থানরত সব নাগরিক ও অভিবাসীকে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করার জন্য আহ্বান জানিয়েছে কুয়েত সরকার। বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ | লকডাউন, কুয়েত, ওমিক্রন | ওমিক্রনের কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি কুয়েতে।
| life-health |
https://www.bhorerkagoj.com/2019/07/21/%e0%a6%95%e0%a7%81%e0%a6%ae%e0%a6%bf%e0%a6%b2%e0%a7%8d%e0%a6%b2%e0%a6%be%e0%a7%9f-%e0%a6%9b%e0%a7%87%e0%a6%b2%e0%a7%87%e0%a6%a7%e0%a6%b0%e0%a6%be-%e0%a6%b8%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a6%e0%a7%87%e0%a6%b9/ | কুমিল্লায় ছেলেধরা সন্দেহে ৪ জনকে গণপিটুনি | কুমিল্লায় ছেলেধরা সন্দেহে এক নারীসহ চারজনকে গণপিটুনি দিয়েছে স্থানীয়রা। আজ রোববার দুপুরে জেলার আদর্শ সদর উপজেলার আমড়াতলী ইউনিয়নের দুতিয়াদিঘীরপাড় ও মাঝিগাছা এলাকায় পৃথক এ ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয়রা তাদেরকে পুলিশে সোপর্দ করে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রোববার দুপুর ১২টার দিকে এক নারীসহ তিনজন আদর্শ সদর উপজেলার আমড়াতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে যায়। এ সময় তারা চৈতী নামের ওই বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ডাক দেয়। এতে ওই শিশুটি ভয় পেয়ে 'ছেলেধরা' বলে চিৎকার শুরু করলে এলাকাবাসী তাদের আটক করে গণপিটুনি দেয়। এতে তারা গুরুতর আহত হন। খবর পেয়ে কোতয়ালি মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে। উদ্ধারকৃতরা হলেন- জেলার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার বেজুরা গ্রামের জয়নাল আবেদীনের ছেলে আনোয়ার হোসেন (২৮), বরুড়া উপজেলার হরিপুর গ্রামের ফজর আলীর ছেলে আব্দুস সালাম (৭৫) এবং আব্দুস সালামের স্ত্রী রত্না বেগম (৪৫)। অন্যাদিকে মাঝিগাছা এলাকা থেকে আরিফ হোসেন (৩০) নামে এক ফেরিওয়ালাকে ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে স্থানীয় লোকজন। আরিফ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার কোনাকাটা নয়নপুর গ্রামের আব্দুন নূর স্বর্ণকারের ছেলে। কুমিল্লার পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম জানান, আটকদের বিষয়ে খোঁজ-খবর নেয়া হচ্ছে। তিনি সাধারণ জনগণকে এ বিষয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান। | null | কুমিল্লা শহরের দৃশ্য | national |
https://www.prothomalo.com/entertainment/hollywood/৫০-কোটি-ডলারের-ঘরে-দ্য-ব্যাটম্যান | ৫০ কোটি ডলারের ঘরে 'দ্য ব্যাটম্যান' | আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র বাজারে এ বছরের অন্যতম আলোচিত সিনেমা 'দ্য ব্যাটম্যান'। ডিসি কমিকসের জনপ্রিয় ব্যাটম্যান চরিত্রে রবার্ট প্যাটিনসনের অসাধারণ অভিনয় নজর কেড়েছে সবার। ওয়ার্নার ব্রাদার্স প্রযোজিত অন্যতম ব্যবসাসফল সিনেমা এটি। ছবিটি বিশ্বব্যাপী ৪ মার্চ মুক্তি পায়।বক্স অফিস মোজো অনুযায়ী, ২০ কোটি ডলার খরচে নির্মিত সিনেমাটির আয় ইতিমধ্যে ৫০ কোটি ডলার ছাড়িয়েছে। কমিকবুক ডটকমের একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ছবিটি যুক্তরাষ্ট্রে ২৫ কোটি এবং আন্তর্জাতিক বাজারে ২৫ কোটি ডলার আয় করেছে।হলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা রবার্ট প্যাটিনসন প্রথমবারের মতো 'ব্যাটম্যান' চরিত্রে অভিনয় করেন। ব্যাটম্যান হিসেবে প্যাটিসন? অনেকেই হতাশ ছিলেন এই তারকাকে নিয়ে। এ নিয়ে শুরু থেকেই আলোচনা কম ছিল না। শুধু তা-ই নয়, ছবিটির শুটিং শুরু হওয়ার পরও বিপত্তি বাধে তাঁকে নিয়ে। এমনকি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানও প্যাটিনসনকে নিয়ে বেশ হতাশ বলে খবর আসে। পরিচালক ম্যাট রিভসের সঙ্গে অনেক বিষয় নিয়ে শুটিং সেটে মত মেলেনি প্যাটিনসনের। তবে সব আলোচনা-সমালোচনার মুখে তালা লাগিয়ে 'দ্য ব্যাটম্যান' ছবি দিয়ে আলোচনা তুললেন 'টোয়াইলাইট' তারকা রবার্ট প্যাটিনসন।ছবিতে আরও অভিনয় করেছেন জোয়ি ক্রাভিটজ, জেফরি রাইট, পল ড্যানোসহ আরও অনেকে। প্যাটিনসনকে নিয়ে হতাশ হলেও বক্স অফিসের আয়ে আনন্দিত প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান। এক বিবৃতিতে ওয়ার্নার ব্রাদার্স পিকচার্সের চেয়ারম্যান টবি এমেরিক বলেছেন, 'সারা বিশ্বের মানুষ সিনেমা হলে "ব্যাটম্যান" উপভোগ করছে। আমরা বেশ রোমাঞ্চিত। ম্যাট রিভস একটি দারুণ ছবি নির্মাণ করেছেন। আমরা এই সাফল্য ছবিসংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে ভাগ করে নিতে চাই।''দ্য ব্যাটম্যান' ছবিটি ২০২১ সালের জুনের শুরুর দিকে মুক্তি পাওয়ার কথা থাকলেও করোনা মহামারির কারণে এর মুক্তির তারিখ দুইবার পিছিয়ে যায়। অবশেষে ২০২২ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি লন্ডনে প্রিমিয়ার হয় এবং ৪ মার্চ প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায়। এ ছাড়া ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের কারণে সিনেমাটি রাশিয়ায় মুক্তি দেয়নি এর প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ওয়ার্নার ব্রাদার্স। | করোনা বিনোদন,সিনেমা,চলচ্চিত্র | দ্য ব্যাটম্যান ছবির পোস্টার | entertainment |
https://samakal.com/economics/article/211289455/কার্যকর-সেকেন্ডারি-বন্ড-মার্কেট-চায়-ঢাকা-চেম্বার | কার্যকর সেকেন্ডারি বন্ড মার্কেট চায় ঢাকা চেম্বার | ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) পুঁজিবাজারে সেকেন্ডারি বন্ড মার্কেটকে আরও কার্যকর করার সুপারিশ করেছে। আর এ জন্য অবকাঠামো উন্নয়ন, বন্ড চালুর প্রক্রিয়া সহজ করা, বন্ড ইস্যুকারী ও বিনিয়োগকারীদের জন্য বিশেষ করছাড় এবং বিনিয়োগকারীদের আস্থা অর্জনে দেশীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি ক্রেডিট রেটিং অ্যাজেন্সি দ্বারা রেটিং ব্যবস্থার প্রবর্তন জরুরি। রোববার বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের সঙ্গে এক বৈঠকে এসব সুপারিশ করেন ঢাকা চেম্বারের সভাপতি রিজওয়ান রাহমান। বিএসইসি চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিসিসিআই সহ-সভাপতি মনোয়ার হোসেন। ঢাকা চেম্বারের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সাক্ষাৎকালে ডিসিসিআই সভাপতি রিজওয়ান রাহমান বলেন, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ধারা গতিশীল রাখতে কার্যকর পুঁজিবাজারের কোনো বিকল্প নেই। তিনি উল্লেখ করেন, 'গ্লোবাল ইনফ্রাস্ট্রাকচার হাব'-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী বাংলাদেশের অবকাঠামো খাতের উন্নয়নের জন্য ২০১৬-২০৪০ সাল পর্যন্ত প্রায় ৬০৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিনিয়োগ প্রয়োজন। তবে এ সময়ে বাংলাদেশ অবকাঠামো খাতে প্রায় ৪১৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করতে সক্ষম। ফলে অবকাঠামো খাতে ইপ্সিত উন্নয়ন নিশ্চিত করতে প্রায় ১৯২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিনিয়োগ ঘাটতি রয়েছে। অবকাঠামো খাতে এ অর্থায়ন ঘাটতি কমাতে দেশের পুঁজিবাজার অন্যতম উৎস হিসেবে কাজ করতে পারে বলে মন্তব্য করেন ডিসিসিআই সভাপতি। ডিএসই প্রবর্তিত 'এসএমই বোর্ড' কে সাধুবাদ জানিয়ে রিজওয়ান রাহমান বলেন, এ কার্যক্রমকে উৎসাহিত করতে ডিএসই'র এসএমই প্ল্যাটফর্মে নিবন্ধন প্রক্রিয়া সহজিকরণ এবং এসএমই বোর্ডে নিবন্ধিত উদ্যোক্তাদের প্রণোদনা হিসেবে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কর্পোরেট কর সুবিধা প্রদান করা যেতে পারে। বিএসইসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, পুঁজিবাজারে বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের পাশাপাশি বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের ইতিবাচক ব্রান্ডিং তুলে ধরার লক্ষ্যে ইতোমধ্যে যুক্তরাজ্য, সুইজারল্যান্ড ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ বেশ কয়েকটি দেশে রোড শো আয়োজন করা হয়েছে। তিনি জানান, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জ কমিশন আগামী মাসে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতারে রোড শো আয়োজন করতে যাচ্ছে, সেখানে তিনি ঢাকা চেম্বারের অংশগ্রহণের আহ্বান জানান। | ডিসিসিআই,পুঁজিবাজার,সেকেন্ডারি বন্ড,বিনিয়োগকারী | বিএসইসি চেয়ারম্যানের সঙ্গে বৈঠক শেষে ঢাকা চেম্বার সভাপতি। | economy |
https://samakal.com/international/article/17121603/বিবিসির-অনুষ্ঠান-সম্পাদনায়-প্রিন্স-হ্যারি | বিবিসির অনুষ্ঠান সম্পাদনায় প্রিন্স হ্যারি |
বিবিসির গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ অনুষ্ঠান রেডিও ফোরের 'টুডে' অনুষ্ঠানে একদিনের জন্য অতিথি সম্পাদনার দায়িত্ব পালন করলেন প্রিন্স হ্যারি।অনুষ্ঠানে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সাক্ষাৎকার নেন। সাক্ষাৎকারে বারাক ওবামা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের দায়িত্বহীন ব্যবহার সম্পর্কে হুঁশিয়ারি উ্চ্চারণ করেন। ওবামা বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অপব্যবহারের ফলে মানুষের মধ্যে জটিল বিষয়ে ভ্রান্ত ধারণা জন্মাচ্ছে, ভুয়া তথ্য সমাজে ছড়াচ্ছে। এই পরিস্থিতি নাগরিক সমাজের মতপ্রকাশে ক্ষয়িষ্ণুতা সৃষ্টি করেছে।ওবামা তার যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নাম উল্লেখ না করে বলেন, যারা নেতৃত্বে রয়েছেন তাদের উচিত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দায়িত্ব নিয়ে মতামত পোস্ট করা।সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ওবামা বলেন, 'আমরা যখন ক্ষমতায় থাকি বা নেতৃত্ব গ্রহণ করি তখন ইন্টারনেটে সর্বসাধারণের ব্যবহারযোগ্য একটা জায়গা কীভাবে তৈরি হতে পারে সেটা আমাদেরই ভাবতে হবে'।ব্রিটিশ রাজসিংহাসনের পঞ্চম উত্তরাধিকারী প্রিন্স হ্যারির বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বারাক ওবামা। সূত্র: বিবিসি
| ব্রিটেন,প্রিন্স হ্যারি | বারাক ওবামার সাক্ষাৎকার নেন প্রিন্স হ্যারি বিবিসি | international |
https://www.ajkerpatrika.com/173759/%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%86%E0%A6%97%E0%A7%87%E0%A6%87-%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%9F%E0%A6%9B%E0%A7%87-%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8 | ব্লাস্টের হানায় পাকার আগেই কাটছে ধান | সাতক্ষীরার তালা উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বোরো ধান পুরোপুরি পাকার আগেই কাটা শুরু করেছেন কৃষকেরা। ধানে ব্লাস্ট রোগের হানা দেওয়ায় তাঁরা আগেভাগেই ধান কাটা শুরু করেছেন। কৃষকেরা বলছেন, এখন ধান না কাটলে কিছুদিন পর সব ধান বিচালি হয়ে যাবে। তবু ধানের ব্লাস্টার রোগ নিয়ে কৃষি বিভাগের নেই কোনো মাথা ব্যথা।উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলার ১৯ হাজার ৫৪০ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। চাষ হয়েছে ১৯ হাজার ৫৫৫ হেক্টর জমিতে। তবে ব্লাস্ট রোগের প্রকোপ দেখা দেওয়ায় আশ্বানুরূপ ফসল পাওয়া নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।সরজমিনে দেখা যায়, উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে বোরো ধানের একই চিত্র। ব্লাস্টার রোগে শেষ করে দিয়েছে কৃষকের স্বপ্ন। উচ্চ ফলনশীল ব্রি-২৮ জাতের ধান ব্লাস্টার রোগে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়া ব্রি-৬৭ ধানের শীষ কাটা রোগ দেখা দিয়েছে।গতকাল মঙ্গলবার খলিলনগর ইউনিয়নে নলতা গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, কৃষক শামছুর মোড়ল তাঁর জমিতে ধান কাটা শুরু করেছেন। তিনি বলেন, 'দুই বিঘা জমিতে ব্রি-২৮ জাতের বোরো চাষ করেছি। ধান পাকার মুহূর্তে ব্লাস্টার রোগে আক্রমণ করেছে। কৃষি অফিসের লোকজন আসেও না দেখেও না। তাই উপায় না পেয়ে আগেই ধান কাটা শুরু করেছি। এবার হয়তো সর্বস্বান্ত হয়ে যাব।'কৃষক জামাল গাজী বলেন, 'এ বছর আড়াই বিঘা জমিতে ধান লাগাইছি কিন্তু কি যে আছে কপালে। ব্লাস্টার রোগের আক্রমণে ধানগাছ সাদা হয়ে কুঁকড়ে গেছে। বিভিন্ন ধরনের কীটনাশক স্প্রে করেও কোনো লাভ পাচ্ছি না। এ অবস্থা চলতে থাকলে ধান তো নয়ই, বিচালি পাওয়াও কঠিন হয়ে যাবে। তাতে দোকানে সার কীটনাশকের বকেয়া পরিশোধ করা যাবে না।'তালা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাজিরা খাতুন বলেন, 'দিনে গরম ও রাতে ঠান্ডা পড়ার কারণেই বোরো ধানে বিশেষ করে ব্রি-২৮ জাতের ধানে ব্লাস্ট রোগের আক্রমণ ঘটছে। আমরা কৃষি বিভাগ থেকে কৃষকদের এ জাতের ধান রোপণ করতে নিষেধ করি। তবু কৃষকেরা ব্রি-২৮ জাতের ধান রোপণ করেন।'ধানের জন্য ব্লাস্ট একটি ছত্রাকজনিত মারাত্মক ক্ষতিকারক রোগ। পাইরিকুলারিয়া ওরাইজি' নামক ছত্রাকের আক্রমণে এ রোগ হয়ে থাকে। অনুকূল আবহাওয়ায় রোগটি দ্রুত বিস্তার লাভ করে এবং ব্যাপক ক্ষতি করে থাকে। রোগপ্রবণ জাতের ধানে রোগ সংক্রমণ হলে ফলন শতভাগ পর্যন্ত কমে যেতে পারে। | সাতক্ষীরা,খুলনা বিভাগ,কৃষক,ধান,তালা,ছাপা সংস্করণ,যশোর সংস্করণ,খুলনা সাতক্ষীরা | ব্লাস্ট রোগের কারণে পুরোপুরি পাকার আগেই ধান কাটছেন কৃষক। গতকাল সাতক্ষীরার তালা উপজেলার খলিলনগর ইউনিয়নের নলতা গ্রামে। | national |
https://samakal.com/politics/article/2204108091/স্বাস্থ্য-পরীক্ষার-জন্য-সিঙ্গাপুর-গেলেন-ওবায়দুল-কাদের | স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সিঙ্গাপুর গেলেন ওবায়দুল কাদের | আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার অংশ হিসেবে শুক্রবার সকাল সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি ৫৮৪ ফ্লাইট যোগে তিনি যাত্রা। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা শেখ ওয়ালিদ ফয়েজ স্বাক্ষরিত প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানা গেছে। সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে শিগগির তিনি ঢাকায় ফিরবেন। | সেতুমন্ত্রী,সিঙ্গাপুর,স্বাস্থ্য পরীক্ষা | সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের | politics |
https://samakal.com/whole-country/article/220297554/শপথের-আগেই-চেয়ারম্যানের-মৃত্যু | শপথের আগেই চেয়ারম্যানের মৃত্যু | পটুয়াখালী বাউফলে শপথ নেওয়ার আগেই ৯নং নাজিরপুর ইউনিয়ন পরিষদ সদ্য নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক আমির হোসেন ব্যাপারী (৬৫) মারা গেছেন। শনিবার সন্ধ্যা সোয়া সাতটায় ঢাকার বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তার মৃত্যুতে উপজেলা আওয়ামী লীগ, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন। রোববার সকাল সাড়ে সাতটায় তাকে ঢাকার নবাবপুর রোডে নাজিরপুরস্থ সমিতির সামনে নামাজে জানাযা শেষে লঞ্চযোগে বাউফলের নাজির পুরের নাজিরপুর তাঁতের কাঠি মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে জানাযা শেষে পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হবে বলে নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে। উপজেলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক আমির হোসেন ব্যাপারী দীর্ঘ লড়াইয়ের পর গত ৭ ফেব্রুয়ারি ৭ম ধাপে ৯নং নাজিরপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রতীক নিয়ে বিপুল ভোটে বিজয়ী হন। তার এখনও শপথ নেওয়া হয়নি। আমির হোসেন ব্যাপারীর স্বজনরা জানান, তার হার্টব্লক হলে তাতে দুটি রিং বসানো হয়েছিল। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে তিনি অসুস্থবোধ করছিলেন। অবশেষে তিনি শনিবার সন্ধ্যায় মৃত্যুর কাছে হেরে যান। | পটুয়াখালী,বাউফল,মৃত্যু | আমির হোসেন ব্যাপারী | national |
https://www.bhorerkagoj.com/2021/10/08/%e0%a6%8f%e0%a6%b8%e0%a6%86%e0%a6%87-%e0%a6%aa%e0%a6%a6%e0%a7%87-%e0%a6%a8%e0%a6%bf%e0%a7%9f%e0%a7%8b%e0%a6%97-%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%9c%e0%a7%8d%e0%a6%9e%e0%a6%aa%e0%a7%8d%e0%a6%a4%e0%a6%bf/ | এসআই পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ | বাংলাদেশ পুলিশ সাব-ইন্সপেক্টর পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে যোগ্য প্রার্থীদের কাছ থেকে আবেদন গ্রহণ শুরু করেছেন। যোগ্যতা: অনুমোদিত বিশ্ববিদ্যালয় হতে ন্যুনতম স্নাতক পাস ও কম্পিউটারে অভিজ্ঞতা। এ ছাড়া প্রার্থীকে বাংলাদেশের স্থায়ী নাগরিক এবং অবিবাহিত হতে হবে। আবেদনের সময়সীমা: বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ৮ অক্টোবর শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে ৪ নভেম্বর বিকাল ৫টা পর্যন্ত অনলাইনে চাকরির জন্য আবেদন করা যাবে। ... ওয়েবসাইটে লগ ইন করে আবেদন প্রক্রিয়ার ধাপগুলো সম্পন্ন করে আবেদন করতে হবে। এবারের নিয়োগ প্রক্রিয়া বেশ কয়েকটি ধাপে সম্পন্ন হবে। ধাপগুলো হচ্ছে- ওয়েব বেজড প্রিলিমিনারি স্ক্রিনিং, শারীরিক মাপ ও কাগজপত্র যাচাইকরণ, লিখিত ও মনস্তাত্ত্বিক, কম্পিউটার দক্ষতা, বুদ্ধিমত্তা ও মৌখিক পরীক্ষা, স্বাস্থ্য পরীক্ষা, পুলিশ ভেরিফিকেশন ও মৌলিক প্রশিক্ষণের জন্য চূড়ান্ত মনোনয়ন। | null | বাংলাদেশ পুলিশ। লোগো | national |
https://www.bhorerkagoj.com/2021/05/26/%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%a7%e0%a6%ac%e0%a6%aa%e0%a7%81%e0%a6%b0%e0%a7%87-%e0%a6%9f%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%95%e0%a7%8d%e0%a6%9f%e0%a6%b0-%e0%a6%89%e0%a6%b2%e0%a7%8d%e0%a6%9f%e0%a7%87/ | মাধবপুরে ট্রাক্টর উল্টে ৫০ জন চা শ্রমিক আহত | হবিগঞ্জের মাধবপুরে চা পাতা তুলতে গিয়ে ট্রাক্টর উল্টে ৫০ জন চা শ্রমিক আহত হয়েছে। বুধবার (২৬ মে) সকালে সুরমা ডিভিশনের ২০ নম্বর এলাকায় নির্মানাধীন একটি ব্রীজের নিকট এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহতদের মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আহতরা জানান, সুরমা চা বাগানের প্রায় ৫০ জন শ্রমিক কিবরিয়াবাদ এলাকায় চা পাতা উত্তোলন করার জন্য একটি ট্রাক্টর দিয়ে যাবার পথে নিমার্নাধীন একটি ব্রীজের নিকট গেলে ট্রাক্টরটি উল্টে যায়। এতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। | চা পাতা,চা বাগান,চা শ্রমিক,ট্রাক্টর | প্রতীকি | national |
https://www.ajkerpatrika.com/90214/%E0%A6%95%E0%A6%AE%E0%A6%B2%E0%A6%97%E0%A6%9E%E0%A7%8D%E0%A6%9C%E0%A7%87-%E0%A6%96%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%BF-%E0%A6%AC%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%93-%E0%A6%AC%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%AC%E0%A6%B0%E0%A6%A3-%E0%A6%85%E0%A6%A8%E0%A7%81%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%A0%E0%A6%BE%E0%A6%A8 | কমলগঞ্জে খাসি বর্ষবিদায় ও বর্ষবরণ অনুষ্ঠান | কমলগঞ্জের মাগুরছড়া পুঞ্জিতে নৃতাত্ত্বিক খাসি জনগোষ্ঠীর ঐতিহ্যবাহী বর্ষবিদায় ও বর্ষবরণ অনুষ্ঠান হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠান হয়। এ অনুষ্ঠানের নাম 'খাসি সেং কুটস্নেম'।আলোচনাসভা, খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এ বছর আয়োজন করা হয় ১২তম বর্ষবিদায় ও ১২৩তম বর্ষবরণের। প্রাচীন খাসি সমাজে দেবতার প্রতি সন্তুষ্টি প্রকাশে এ উৎসব পালিত হচ্ছে।অনুষ্ঠানে তাদের নিজস্ব ঐতিহ্যবাহী পোশাক পড়ে তরুণ তরুণীরা উপস্থিত হয়। সারা দিনব্যাপী চলে তাদের খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। উৎসবে তাদের ঐতিহ্যবাহী নৃত্য উপস্থাপন করে। এ ছাড়া বড়শি দিয়ে মাছ ধরা প্রতিযোগিতা হয়।উৎসবে অনেকগুলো স্টল বসে। স্টলে খাসিদের ব্যবহৃত জিনিসপত্র উপস্থাপন করা হয়। মঞ্চ ও উৎসবের স্টলগুলো বাঁশ, কলাপাতা ও সুপারি পাতা দিয়ে সাজানো হয়। খাবারেও ছিল বৈচিত্র্য, জাতিগোষ্ঠীর লোকজন ছাড়াও অতিথিদের জন্য কলাপাতায় মোড়ানো বিশেষ খাবার দিয়ে আপ্যায়ন করে।খাসি তরুণী সালভেশন বলেন, 'আমাদের এ উৎসব মিলন মেলার মতো। উৎসবকে কেন্দ্র করে আমরা সবাই জড়ো হই। এ বছর করোনার কারণে উপস্থিতি কম। তারপরও আমরা সন্তুষ্ট।'আদিবাসী রক্ষা আন্দোলনের নেতা ফিলা ফতমি জানান, খাসিরা দীর্ঘদিন ধরে সম্প্রীতি বজায় রেখে বসবাস করে আসছে। খাসিয়ারা প্রকৃতির পূজারি।খাসি জনগোষ্ঠীর যুবনেতা সাজু মারচিয়াং জানান, খাসিয়াদের প্রাচীন ইতিহাস-ঐতিহ্য, সংস্কৃতি তুলে ধরার জন্য বর্ষবরণ ও বিদায় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বৃহত্তর সিলেটে প্রায় ৮০ টির মতো খাসি পুঞ্জি রয়েছে।উৎসবে খাসিদের পাশাপাশি এই অনুষ্ঠানে বাঙালি ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষসহ পর্যটকেরা অংশগ্রহণ করে থাকেন। তবে মহামারি করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে বিদেশিরা উপস্থিত হতে পারেন নাই।মাগুরছড়া পুঞ্জির মন্ত্রী ও খাসি সোশ্যাল কাউন্সিলের সভাপতি জিডিশন প্রধান সুচিয়াং বলেন, 'এ বছর স্বাস্থ্যবিধি মেনে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। আমাদের ভাষা সংস্কৃতি নতুন প্রজন্ম যেন ভুলে না যায় সে লক্ষ্যে আমরা অধিক গুরুত্ব দিয়ে এই অনুষ্ঠান করে থাকি।' | মৌলভীবাজার,সিলেট বিভাগ,খাসিয়া,কমলগঞ্জ,ছাপা সংস্করণ,সিলেট সংস্করণ,সুনামগঞ্জ মৌলভীবাজার হবিগঞ্জ | মৌলভীবাজারের মাগুরছড়া পুঞ্জিতে নৃতাত্ত্বিক খাসি জনগোষ্ঠীর ঐতিহ্যবাহী বর্ষবিদায় ও বর্ষবরণ অনুষ্ঠান। | national |
https://www.bhorerkagoj.com/2020/11/24/%e0%a6%86%e0%a6%b0%e0%a7%8b-%e0%a7%a9%e0%a7%a8-%e0%a6%9c%e0%a6%a8%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%ae%e0%a7%83%e0%a6%a4%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a7%81-%e0%a6%b6%e0%a6%a8%e0%a6%be%e0%a6%95%e0%a7%8d%e0%a6%a4/ | আরো ৩২ জনের মৃত্যু, শনাক্ত সাড়ে ৪ লাখ ছাড়াল | নভেল করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে দেশে গত ২৪ ঘন্টায় ৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে করোনায় দেশে ৬ হাজার ৪৪৮ জনের প্রাণহানি হলো। গত ২৪ ঘন্টায় করোনায় শনাক্ত হয়েছেন ২ হাজার ২৩০ জন। এ নিয়ে দেশে করোনায় শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৪ লাখ ৫১ হাজার ৯৯০ জন। দেশে করোনা শনাক্ত হওয়ার ২৬২তম দিনে আজ মঙ্গলবার (২৪ নভেম্বর), করোনা পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ সকল তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে প্রাপ্ত তথ্যমতে, গত ২৪ ঘন্টায় সারা দেশে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৫ হাজার ২৬৫টি। আর দেশের মোট ১১৭টি ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৫,০১৮টি। এর মধ্যে ২,২৩০ জনের দেহে করোনার উপস্থিতি পাওয়া গেছে। যেখানে পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৪.৮৫ শতাংশ। এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ২৬ লাখ ৮০ হাজার ১৪৯টি। এ পর্যন্ত পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৬.৮৬ শতাংশ। বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৩২ জনের মধ্যে ২৫ জন পুরুষ ও ৭ জন নারী। শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১.৪৩ শতাংশ। এ পর্যন্ত মৃত্যুবরণ করা ৬,১৪০ জনের মধ্যে ৪ হাজার ৯৫৫ জন পুরুষ ও ১,৪৯৩ জন নারী। আর গত ২৪ ঘন্টায় সুস্থ হয়েছেন আরো ২ হাজার ২৬৬ জন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮১.১৭ শতাংশ। এ নিয়ে মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো ৩ লাখ ৬৬ হাজার ৮৭৭ জন। বর্তমানে মোট কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন ৪০ হাজার ১৪ জন ব্যক্তি। আর, আইসোলেশনে রয়েছেন ১২ হাজার ৫৪৩ জন। | করোনা,মৃত্যু,শনাক্ত | করোনাভাইরাস | national |
https://www.ajkerpatrika.com/118556/%E0%A6%89%E0%A7%8E%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%B9-%E0%A6%89%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%80%E0%A6%AA%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%9F%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%A8 | উৎসাহ-উদ্দীপনায় টিকাদান | নরসিংদী ও কিশোরগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলায় শিক্ষার্থীদের করোনাভাইরাসের টিকাদান কর্মসূচি গতকাল শুরু হয়েছে। জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর:রায়পুরা: নরসিংদীর রায়পুরায় সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা না থাকায় দিনব্যাপী দুর্ভোগের শিকার হয়েছেন দূরদূরান্ত থেকে টিকা নিতে আসা বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও তাঁদের অভিভাবকেরা। উপজেলায় একটি মাত্র কেন্দ্রে শিক্ষার্থীদের টিকা প্রদানের ব্যবস্থা করা হয়। এতে এ সমস্যা দেখা দিয়েছে।প্রথম দিনে শিক্ষার্থীদের উপচে পড়া ভিড় সামলাতে চরম হিমশিম খেতে হয়েছে কর্তৃপক্ষকে। সকাল ১০টায় উপজেলা বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুল কেন্দ্রে টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। এ সময় লাইনে দাঁড়ানো নিয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কিসহ হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।বেলাব: নরসিংদীর বেলাবতে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে শুরু হলো ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সী স্কুলশিক্ষার্থীদের করোনাভাইরাসের টিকাদান কর্মসূচি। গতকাল রোববার সকালে উপজেলা পরিষদের হলরুমে উপজেলার কয়েকটি স্কুলের শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়ার মাধ্যমে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়।কুলিয়ারচর: কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের করোনাভাইরাসের টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়েছে। এ উপলক্ষে গতকাল রোববার সকাল ৯টায় উপজেলা পরিষদ সম্মেলনকক্ষে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুবাইয়াৎ ফেরদৌসী।বাজিতপুর: কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরে শিক্ষার্থীদের করোনাভাইরাসের টিকাদান শুরু হয়েছে। গতকাল রোববার বাজিতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শিক্ষার্থীদের টিকাদান শুরু হয়। এ কার্যক্রম পরিদর্শন করেন বাজিতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোর্শেদা খাতুন।এ সময় উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সিনথিয়া তাসমিনসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। | করোনাভাইরাস,নরসিংদী,ঢাকা বিভাগ,টিকা,দুর্ভোগ,শিক্ষার্থী,বেলাব,রায়পুরা,কুলিয়ারচর,ছাপা সংস্করণ,সিলেট সংস্করণ,কিশোরগঞ্জ নরসিংদী ব্রাহ্মণবাড়িয়া | কুলিয়ারচরে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা গতকাল টিকা নেয়। | national |
https://www.ajkerpatrika.com/126470/%E2%80%98%E0%A6%B0%E0%A7%8B%E0%A6%B9%E0%A6%BF%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0%E2%80%99-%E0%A6%86%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%97%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%95-%E0%A6%B9%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE-%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%87 | 'রোহিঙ্গাদের' আরাকানের নাগরিক হতে সমস্যা নেই: আরাকান আর্মির প্রধান | মিয়ানমারের আরকান বা রাখাইন রাজ্যের সশস্ত্র গ্রুপ 'আরাকান আর্মি' (এএ) যাত্রা শুরু করে ২০০৯ সালের ১০ এপ্রিল। বিদ্রোহী গ্রুপটির কমান্ডার ইন চিফের নাম থোয়ান ম্রা নাইং। মাত্র ৪৩ বছর বয়সে দেশটির অন্য বিদ্রোহী গ্রুপগুলোর কমান্ডারদের মধ্যে নিজেকে অত্যন্ত সফল কমান্ডার হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছেন নাইং। সরকারি বাহিনীর বিরুদ্ধে কাচিন ইন্ডিপেনডেন্স আর্মির (কেআইএ) সহায়ক শক্তি হিসেবে মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলের কাচিন রাজ্যে ২০১২ সালে প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধে অংশ নেয় এএ। এর পর উত্তর-পূর্বাঞ্চলের শান রাজ্যের বিদ্রোহী গ্রুপ মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স আর্মির (এমএনডিএএ) সঙ্গেও কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সরকারি বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করে নাইংয়ের গ্রুপ।নিজেদের রাজ্যে সরকারি বাহিনীর বিরুদ্ধে আগে থেকেই অল্প-বিস্তর সংঘর্ষে জড়ালেও মূলত ২০১৮ সাল থেকে তা এক ধরনের গৃহযুদ্ধে রূপ নেয়। প্রায় তিন বছর যুদ্ধের পর ২০২০ সালের শেষদিকে অনানুষ্ঠানিক যুদ্ধবিরতিতে যায় গ্রুপটি। ফলে গত ফেব্রুয়ারির সামরিক অভ্যুত্থানের পর মিয়ানমারের অন্যান্য অঞ্চল উত্তপ্ত হয়ে উঠলেও এখন বেশ স্থিতিশীল রয়েছে রাখাইন রাজ্য। গোলযোগের এই সুযোগে রাজ্যটির বড় একটা অংশে, বিশেষত উত্তরাঞ্চলে নিজেদের প্রশাসন চালু করতে সক্ষম হয়েছে এএর রাজনৈতিক সংগঠন ইউনাইটেড লিগ অব আরাকান (ইউএলএ)।তবে যেকোনো সময় অশান্ত হয়ে উঠতে পারে রাখাইন রাজ্য। এ জন্য ইন্ধনের অভাব নেই। সামান্য ইস্যুতে এএর বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করতে পারে মিয়ানমার সেনাবাহিনী তাতমাদৌ। তবে তা করার আগে নানা কারণে দ্বিতীয়বার চিন্তা করবে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। আবার এএর বিরুদ্ধে রাখাইনের অন্য বিদ্রোহীদের উসকে দিতে পারে সেনাবাহিনী। বা ফাটল দেখা দিতে পারে দেশটির বিভিন্ন রাজ্যের বিদ্রোহী গ্রুপগুলোর জোট দ্য ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স, দ্য নর্দান অ্যালায়েন্স এবং দ্য ফেডারেল পলিটিক্যাল নেগোসিয়েশন অ্যান্ড কনসালটেটিভ কমিটির (এফপিএনসিসি) মধ্যে।তবে জান্তা বিরোধীদের সঙ্গে মিলে অন্য বিদ্রোহীদের মতো এএও পুরোদমে সামরিক তৎপরতা শুরু করলে এরই মধ্যে সংকটাপন্ন তাতমাদৌ দিশেহারা হয়ে পড়ত বলে ধারণা করা হয়। হংকংভিত্তিক গণমাধ্যম এশিয়া টাইমসের প্রতিনিধি বার্টিল লিন্টনারের সঙ্গে সম্প্রতি নিজেদের ভবিষ্যৎ এবং মিয়ানমারের ক্রম বিস্তৃত গৃহযুদ্ধ নিয়ে কথা বলেছেন মেজর জেনারেল থোয়ান ম্রা নাইং। আজকের পত্রিকার পাঠকদের জন্য ইংরেজি থেকে সেই সাক্ষাৎকার অনুবাদ করেছেন তাসনিম আলম।২০২০ সালের নভেম্বরের জাতীয় নির্বাচনের পরপরই আপনারা মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক যুদ্ধবিরতিতে গেলেন। এর পর থেকেই আরাকানের পরিস্থিতি তুলনামূলক শান্ত। যেখানে সারা মিয়ানমারই জান্তাবিরোধী বিদ্রোহ-বিক্ষোভে উত্তাল, সেখানে রাখাইনে কত দিন শান্তি ধরে রাখা সম্ভব হবে?থোয়ান ম্রা নাইং: অনানুষ্ঠানিক যুদ্ধবিরতি নিয়ে ভরসা করার মতো কিছু নেই। আমাদের মাথার ওপর তরবারি ঝুলে আছে। এ অবস্থায় যুদ্ধবিরতি কত দিন টিকবে, তা অনিশ্চিত। তবে বৃহত্তর স্বার্থে আমরা অর্থপূর্ণ যুদ্ধবিরতিতে যেতে চাই।এ মুহূর্তে (জান্তার প্রশাসন) স্যাককে (স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন কাউন্সিল) দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যুদ্ধ করতে হচ্ছে। আপাতত পরিস্থিতি সামলানোর কৌশলের ভিত্তিতে তারা এসব যুদ্ধ পরিচালনা করছে। আমরা যেহেতু বিচার, রাজস্ব, জননিরাপত্তা এবং আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পরিচালনা করছি, তাই তারা আমাদের ওপর ক্ষিপ্ত। তাদের ক্রোধের বিষয়টি আমাদের ভালোভাবে জানা আছে।মিয়ানমারের বিদ্রোহী গ্রুপগুলোর তিনটি জোটে আপনারা রয়েছেন। কিন্তু কারেন ন্যাশনাল ইউনিয়ন (কেএনইউ), কারেনি ন্যাশনাল প্রগ্রেসিভ পার্টি (কেএনপিপি) ও দলটির সশস্ত্র শাখা কারেনি আর্মি এবং রেস্টোরেশন কাউন্সিল অব শান স্টেট (আরসিএসএস) তো ওই জোটগুলোর সদস্য নয়। তাদের সঙ্গে আপনাদের সম্পর্ক কেমন?থোয়ান ম্রা নাইং: ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স এবং নর্দান অ্যালায়েন্সের সঙ্গে বিভিন্ন অপারেশনে আমরা নিয়মিত অংশ নিচ্ছি। আমরা এখনো এফপিএনসিসির সদস্য। কেএনইউ এবং কেএনপিপি এবং অধিকাংশ জাতিগত সশস্ত্র সংগঠনের সঙ্গেও আমাদের সুসম্পর্ক রয়েছে।গত বছরের ১ ফেব্রুয়ারি ক্ষমতা দখলের পর থেকে স্যাকের কার্যক্রম নিয়ে আপনার সার্বিক মূল্যায়ন কী? তাদের সঙ্গে আলোচনা কি সম্ভব, নাকি সশস্ত্র সংগ্রামই একমাত্র পথ?থোয়ান ম্রা নাইং: স্যাকের হাতে পড়ে স্বাস্থ্য খাত ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে যাচ্ছে, দেউলিয়া হতে বসেছে অর্থনীতি, আর অচল হয়ে পড়েছে স্বাভাবিক রাজনৈতিক অঙ্গন। স্যাক উদভ্রান্ত হয়ে পড়েছে। আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে এবারের জান্তা সরকার বা স্যাক কূটনৈতিক মহলে অনেক বেশি নিঃসঙ্গ। একই সঙ্গে অনেক ফ্রন্টে যুদ্ধ শুরু করায় শক্তি ক্ষয় হচ্ছে সামরিক বাহিনীর। বলতে গেলে ঝড়ের কবলে পড়ে গেছে জান্তা সরকার। তাই তাদের আর বেশি ভুল করার সুযোগ নেই।এ অবস্থায় তাদের চেইন অব কমান্ড এবং অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা একবার ভেঙে পড়লে, সেনাবাহিনীর মধ্যে বিদ্রোহ দেখা দিলে, তাতমাদৌ একটি সুপারনোভার মতো বিস্ফোরিত হতে পারে। কিন্তু তাদের সামরিক শক্তি ও ঘুরে দাঁড়ানোর সামর্থ্যকে খাটো করে দেখার সুযোগ নেই। ক্ষমতায় থাকার জন্য তারা যেকোনো কিছুই করতে পারে। সময়ে সময়ে তাদের নির্বিচার বর্বরতা আমাদের দেখতে হয়েছে। তাই বিদ্যমান পরিস্থিতিতে কোনো শান্তি আলোচনা সম্ভব বলে আমার মনে হয় না। বিরাজমান শত্রুতামূলক পরিবেশে শান্তি আলোচনার কথা রাজনৈতিক বাগাড়ম্বর ছাড়া কিছু নয়। জাতীয় রাজনীতির ক্ষেত্রে ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) এবং রাখাইনের স্থানীয় রাজনীতিতে আরকান ন্যাশনাল পার্টির (এএনপি) ভূমিকাকে আপনি কীভাবে মূল্যায়ন করবেন?থোয়ান ম্রা নাইং: গত নির্বাচনে (২০২০ সালের নভেম্বর) এনএলডি বিস্ময়কর জয় লাভ করলেও দলটির সার্বিক অবস্থা ভালো বলা যাবে না। দলটির নেতৃত্ব বয়সের ভারে ন্যুব্জ, স্থবির। এদের কোনো ভবিষ্যৎ নেই। জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করা তাদের পক্ষে অসম্ভব। এনএলডির নতুন নেতৃত্ব দরকার। তবে মিয়ানমার জনগণের স্বার্থে আমি নতুন রাজনৈতিক শক্তির উত্থান কামনা করি, যারা চলমান রাজনৈতিক শূন্যতা পূরণ করতে পারবে।আর এএনপির বিষয়ে বলব, জান্তার ঘোষণা অনুযায়ী ২০২৩ সালে নির্বাচন হবে কি হবে না, তারা সেদিকে তাকিয়ে আছে। এসব কিছু বিবেচনায় নিলে (মিয়ানমারের) রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ ভয়ানক ও অনিশ্চিত বলতে হয়। তবে এএনপিকে নিয়ে আরেকটি সম্ভাব্য দৃশ্য কল্পনা করা যায়-আগামী কয়েক বছরে স্থানীয় পর্যায়ে কোনো নির্বাচন না হলে রাখাইনের অন্যান্য পার্টি ও প্রভাবশালী ব্যক্তিদের মতো এএনপিও ইউএলএর সঙ্গে একীভূত হয়ে যেতে পারে।আপনার চূড়ান্ত লক্ষ্য কী-আরাকান স্বাধীন করা, না, ফেডারেল ইউনিয়নের অধীনে স্বায়ত্তশাসন? ভবিষ্যতে মিয়ানমারের রাষ্ট্র কাঠামো আপনি কেমন দেখতে চান?থোয়ান ম্রা নাইং: স্বায়ত্তশাসন ও সার্বভৌমত্বের অধিকারের দাবি আমাদের জাতীয় আন্দোলনের প্রাণ। তবে হ্যাঁ, ভবিষ্যতে মিয়ানমার যদি একটা ফেডারেল ইউনিয়ন হয়, সেই কনফেডারেশনের রাজনৈতিক স্বাধীনতা যদি আরাকানি জনগণের আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ হয়, তাহলে হয়তো আমরা ভিন্ন চিন্তা করব।যা বলছিলাম, আমরা তো আমাদের (অন্য জাতিগোষ্ঠীর) ভাইবোনদের সঙ্গে থাকাকেই অগ্রাধিকার দিতে চাই। কিন্তু ফেডারেল ইউনিয়নে আমাদের প্রত্যাশিত রাজনৈতিক মর্যাদা স্বীকার করা না হলে আমরা নিজেদের মতো করে আন্তর্জাতিক মহলের সদস্য হতে চেষ্টা করব।আপনাদের আর্মি কতটা শক্তিশালী? আরাকানের কতটুকু আপনাদের নিয়ন্ত্রণে আছে?থোয়ান ম্রা নাইং: (২০০৯ সালে প্রতিষ্ঠার পর) ১৩ বছরে আমরা ৩০ হাজারের বেশি সৈনিককে প্রশিক্ষণ দিয়েছি। নেতৃত্ব ও নিয়ন্ত্রণ এবং কৌশলগত দক্ষতা বিষয়ে আরও অনেক যোদ্ধার প্রশিক্ষণ চলমান। আমাদের ৭০ শতাংশ সৈনিকের সরাসরি যুদ্ধে অংশগ্রহণের অভিজ্ঞতা রয়েছে। বর্তমানে আমাদের ৫ থেকে ৬ হাজার সৈনিক জোটের শরিকদের অঞ্চলে নিয়োজিত আছেন। আর বাকিরা আরকানেই রয়েছেন।উত্তর আরকানের প্রায় ৬০ শতাংশ অঞ্চল আমাদের নিয়ন্ত্রণে। তবে দক্ষিণ আরকানে আমাদের প্রভাব কম। কোনো কোনো জায়গায় আমাদের ও মিয়ানমার আর্মির প্রভাব সমান সমান। শহর অঞ্চলগুলো সাধারণত মিয়ানমার আর্মিই নিয়ন্ত্রণ করে। কৌশলগত কারণে এটা তাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তবে দরকার হলে সেসব এলাকায় আমরা কর্তৃত্ব খাটাতে পারি। হ্যাঁ, এমন অনেক এলাকা আছে, যার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আমাদের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা রয়েছে।পিপলস ডিফেন্স ফোর্সেস (পিডিএফ) এবং চিন রাজ্যের আশপাশে যুদ্ধরত জান্তাবিরোধী সমন্বিত বাহিনীগুলোর সঙ্গে আপনাদের সম্পর্ক কেমন?থোয়ান ম্রা নাইং: এখন পর্যন্ত বলতে গেলে উল্লেখযোগ্য কোনো সম্পর্ক নেই।(বাংলাদেশের) প্রথম আলোয় ২ জানুয়ারি প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে আপনি রোহিঙ্গাদের মানবাধিকার ও নাগরিকত্বের অধিকার স্বীকার করেছেন। এটা কি বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের এই মুহূর্তে প্রত্যাবাসন এবং তাদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কোনো ইঙ্গিত?থোয়ান ম্রা নাইং: আরাকানের সব বাসিন্দাদের মানবাধিকার ও নাগরিকত্বের অধিকার আমরা স্বীকার করি। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে শরণার্থীদের ব্যাপক হারে প্রত্যাবাসন নতুন করে অস্থিরতা তৈরি করতে পারে। যেকোনো প্রত্যাবাসন স্বেচ্ছায় এবং আইন মেনে আন্তর্জাতিক কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানেই হতে হবে।শরণার্থীরা যে নামে নিজেদের পরিচয় নির্ধারণ করতে চায়, তা নিয়ে অধিকাংশ আরাকানির বড় ধরনের আপত্তি রয়েছে। 'রোহিঙ্গা' পরিভাষাটা অধিকাংশ আরাকানি জনগণ মেনে নিতে চান না। এ পরিভাষাটিকে তাঁরা আপত্তিজনক মনে করেন। কারণ, তারা মনে করে এটা তাদের ইতিহাস থেকে নির্বাসিত করে দেয়। (অথচ) তারাই এই মাটির আদি বাসিন্দা।এখানে বিভিন্ন সময়ে মুসলমানেরা এসেছেন। আরাকান ব্রিটিশদের দখলে থাকার সময়েই (১৮২৬-১৯৪৮) তাঁরা ব্যাপক হারে এসেছেন। যারা এখানে বংশপরম্পরায় বসবাস করছেন, তাঁদের আরাকানের নাগরিক হতে কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু এটা তো তাঁদের আত্মপরিচয়েরও প্রশ্ন। (রোহিঙ্গা পরিভাষা নিয়ে সমস্যাটা সেখানেই।) আরাকানে মুসলমান, বৌদ্ধ, হিন্দু এবং খ্রিষ্টানদের শান্তিপূর্ণভাবে একসঙ্গে থাকার সম্ভাবনা কতটুকু?থোয়ান ম্রা নাইং: এটা সম্ভব। এ জন্য আমাদের বাইরের সব ধরনের প্রভাব থেকে মুক্ত হতে হবে। একটা গ্রুপকে আরেকটা গ্রুপের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা বন্ধ করতে হবে। বর্তমানে আরকানে যে পর্যায়ের সামাজিক স্থিতিশীলতা এবং সাম্প্রদায়িক সংহতি বিরাজ করছে, তেমনটি ১৯৪১ / ৪২ সাল থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে কখনো দেখা যায়নি। এখন সামাজিক স্থিতিশীলতা অনেক ভালো। কমতে শুরু করেছে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা। এ অবস্থায় নানা ধরনের ইতিবাচক সামাজিক কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব। এগুলো চোখে পড়ার মতো পরিবর্তন। সমাজের ভেতর থেকে আরও আরও ইতিবাচক পরিবর্তনের সূচনা করতে হবে।রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন (আরএসও) এবং আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা) নিয়ে আপনার মতামত কী?থোয়ান ম্রা নাইং: এদের কোনোটার সঙ্গেই আমাদের সম্পর্ক নেই। তবে আরসার তুলনায় আরএসও রাজনৈতিকভাবে অনেক বেশি পরিপক্ব। কিন্তু আরসার নেটওয়ার্ক অনেক বিস্তৃত। সংগঠনটি অনেক বেশি সক্রিয়। আরাকানের গ্রামে এবং বাংলাদেশের শরণার্থীশিবিরে আপন জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আরসার নেতারা যা করছে, তা তো আপনারা নিজ চোখেই দেখছেন। শরণার্থীদের মধ্যে কিছু শিক্ষিত মুসলমান দায়িত্বজ্ঞানহীনভাবে আরসাকে ব্যবহার করছে। সংকটপূর্ণ রাজনৈতিক পরিবেশকে তারা নিজেদের আখের গোছাতে কাজে লাগাচ্ছে।আপনাদের একমাত্র প্রতিবেশী বাংলাদেশ। সীমানার ওপারের বিভিন্ন কর্তৃপক্ষ ও জনগণের সঙ্গে, উদাহরণস্বরূপ মারমা জনগোষ্ঠীর সঙ্গে নিজেদের সম্পর্ককে আপনি কীভাবে দেখেন? আর (আপনাদের সীমান্ত থেকে) সামান্য দূরে অবস্থিত ভারতের বিষয়েই-বা আপনাদের দৃষ্টিভঙ্গি কী?থোয়ান ম্রা নাইং: মারমা এবং মগের (ত্রিপুরার মগ) সঙ্গে আমাদের রক্তের কোনো তফাৎ নেই। তিন দেশের ওই অঞ্চলের সীমান্তবর্তী অন্য জাতিগোষ্ঠীর ক্ষেত্রেও একই কথা। আমাদের আন্দোলন নিয়ে তাদের গভীর বোঝাপড়া রয়েছে। তারা আমাদের প্রতি সহানুভূতিশীল।আর বাংলাদেশের বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক খারাপ নয়। তবে এখনো এতটা ভালোও বলা যাবে না। বাংলাদেশ সরকার আমাদের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বা অনানুষ্ঠানিক পর্যায়ে কীভাবে সম্পর্ক রাখতে চায়, তা নিয়ে তাদের কোনো নীতি বা কৌশল এখনো আমাদের কাছে স্পষ্ট নয়।তবে ধীরে ধীরে এ পরিস্থিতির অবশ্যই উন্নতি হবে। নিজ উদ্যোগে তাদেরই এগিয়ে আসতে হবে। সুসম্পর্ক আমাদের উভয় পক্ষের জন্যই কল্যাণকর। শরণার্থী সমস্যা সমাধানে, তহবিল (রাখাইনের রোহিঙ্গাদের মধ্যে) সরবরাহে, মহামারি ও নিরাপত্তা ইস্যুতে কার্যকর অগ্রগতির জন্য আমাদের মধ্যে সুসম্পর্কের বিকল্প নেই। উভয় সীমান্তের জনগণের ভালো থাকার জন্য স্বাস্থ্য খাত, শিক্ষা, ব্যবসা-বাণিজ্য ও অন্য ক্ষেত্রেও আমাদের সম্পর্ক বাড়াতে হবে।সংঘাতময় আরাকান ও বাদবাকি মিয়ানমারে শান্তি ফেরাতে চীন এবং জাপানের মতো অন্য কোনো দেশ কোনো ভূমিকা রাখতে পারে কি? (এ অঞ্চলে) চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত নেতৃত্বের প্রতিযোগিতাকে আপনারা কীভাবে দেখেন?থোয়ান ম্রা নাইং: তত্ত্বগতভাবে, শান্তি প্রতিষ্ঠায় (চীন ও জাপান) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। কিন্তু তা বেশ জটিল। পরিবর্তন আসতে হবে (সমাজের/দেশের) ভেতর থেকে। ওই ধরনের পরিবর্তনই আমাদের কাছে বেশি বাস্তবসম্মত, বেশি আবেদনময়। তবে কোনো সমীকরণই এখনো স্পষ্ট নয়। আর যুক্তরাষ্ট্র-চীনের প্রতিযোগিতা আমাদের স্পর্শ করবে না। তা নিয়ে আমাদের মাথা ব্যথা নেই।সবশেষে, একটি ব্যক্তিগত প্রশ্ন, মিয়ানমার সেনাবাহিনী এবং কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে অস্ত্র হাতে তুলে নিতে সিদ্ধান্ত নিলেন কেন? এবং তা কখন?থোয়ান ম্রা নাইং: রাজনৈতিক বৈষম্যের অবসান ঘটানো এবং অধিকার প্রতিষ্ঠার সামর্থ্য মিয়ানমারের বিদ্যমান রাজনৈতিক পরিসরে অনুপস্থিত। বামন হয়ে আমি চাঁদে ছুঁতে চাই না ঠিক। কিন্তু জোরপূর্বক যারা আমাদের বঞ্চিত করেছে, সেই শত্রুদের থেকে আমাদের প্রত্যাশার কিছু নেই।শত্রুরা যাই ভাবুক না কেন, নিজ হাতেই আমরা আমাদের ভাগ্য নির্ধারণ করব। নিজেদের ভিত্তিভূমিতেই নির্মাণ করব স্বপ্নের সৌধ, যা আমাদের একান্ত প্রাপ্য। আমাদের হারানো সার্বভৌমত্ব ফিরে পাওয়া এবং আরকানের ন্যায্য রাজনৈতিক মর্যাদা পুনরুদ্ধারই আমার জীবনের ব্রত। | মিয়ানমার,রোহিঙ্গা,বিদ্রোহী | মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলের শান রাজ্যের ইউনাইটেড ওয়া স্টেট আর্মির সদর দপ্তরে দেশটির সশস্ত্র বিদ্রোহী গ্রুপগুলোর একটি বৈঠকে আরাকান আর্মির কমান্ডার ইন চিফ থোয়ান ম্রা নাইং। ২০১৫ সালের ৬ মে টুইটারের সৌজন্যে | opinion |
https://samakal.com/international/article/211290092/২২-বছরের-সাজাপ্রাপ্ত-সাবেক-প্রেসিডেন্ট-পার্ককে-রাষ্ট্রীয়-ক্ষমা | ২২ বছর সাজাপ্রাপ্ত সাবেক প্রেসিডেন্ট পার্ককে রাষ্ট্রীয় ক্ষমা | দুর্নীতির অভিযোগে অভিশংসনের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত এবং ২২ বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত দক্ষিণ কোরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট পার্ক জিউন-হাইকেরাষ্ট্রীয়ক্ষমা ঘোষণা করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে-ইন। বিসিবির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নতুন বছর উপলক্ষে প্রেসিডেন্ট মুন যাদের ক্ষমা করে দিয়েছেন তাদের মধ্যে পার্কের নাম রয়েছে। এ বছর তিনবার কাঁধ ও পিঠের ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। অসুস্থতার কারণে তাকে ক্ষমা করা হলেও দেশটিতে আগামী বছর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে পার্ককে রাষ্ট্রীয় ক্ষমা করে দিতে বিরোধী দল পিপলস পাওয়ার পার্টি বর্তমান প্রেসিডেন্টের ওপর চাপ দিয়ে আসছিল। নির্বাচনে মুনের দল ডেমোক্রেটিক পার্টি ও পিপলস পাওয়ার পার্টির মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হতে পারে বলে জনমত জরিপে আভাস পাওয়া যাচ্ছে। ব্যক্তিগত লাভের জন্য বন্ধুকে সুবিধা পাইয়ে দিতে রাজনৈতিক ক্ষমতা ও প্রভাব-প্রতিপত্তি ব্যবহারের অভিযোগে ২০১৬ সালে পার্লামেন্ট ও রাজপথে পার্কের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল। পরবর্তীতে পার্লামেন্টে ভোটাভুটির মাধ্যমে পার্ক অভিশংসিত হন। ২০১৭ সালে দেশটির সাংবিধানিক আদালত তাকে ক্ষমতাচ্যুতের রায় দেন। পরের বছর দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার ও অনৈতিক প্রভাব খাটানোর দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়ে তাকে ২২ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ৬৯ বছর বয়সী পার্ক দক্ষিণ কোরিয়ার প্রথম গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট যাকে জোর করে ক্ষমতা থেকে সরানো হয়েছিল। দেশটির সাবেক সেনাশাসক পার্ক চুং-হির মেয়ে পার্ক জিউন-হাই ২০১৩ সালে প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন। পার্কের ওই অভিশংসনের মধ্য দিয়ে মুন জায়ে-ইনের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পথ সুগম করে দেয়। পার্ক জিউন-হাইকে অভিসংসনের ওই রায়ে বিচারক বলেছিলেন, পুরনো বান্ধবী চই সুন-সিলের সঙ্গে যোগসাজশে স্যামসাং ও লোটের মতো কোম্পানিকে অবৈধ সুবিধা দিয়ে ৭৭.৪ বিলিয়ন উয়ন নিয়েছেন পার্ক। | পার্ক জিউন-হাই,মুন জায়ে-ইন,দক্ষিণ কোরিয়া | পার্ক জিউন হাই দক্ষিণ সাবেক সেনাশাসক পার্ক চুং-হির মেয়ে এবং দেশটির প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট।বিবিসি | international |
https://www.bhorerkagoj.com/2020/04/06/%e0%a6%ab%e0%a7%81%e0%a6%9f%e0%a6%ac%e0%a6%b2%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%b8%e0%a6%be%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%a8%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a7%9c%e0%a6%bf%e0%a6%a4%e0%a7%87-%e0%a6%b9/ | ফুটবলার সাবিনার বাড়িতে হামলা | করোনা ভাইরাসের কারণে দেশে সব ধরনের খেলা স্থগিত করা হয়েছে। যেহেতু এখন খেলা নেই তাই খেলোয়াড়রা নিজ বাড়িতে অবস্থান করছেন। তবে এমন পরিস্থিতিতে সাতক্ষীরায় নিজ বাড়িতেই হামলার শিকার হয়েছেন জাতীয় নারী ফুটবল দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন। পারিবারিক শত্রুতার জের ধরে তুচ্ছ ঘটনায় সাবিনা ও তার পরিবারের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। রবিবার (৫ এপ্রিল) সন্ধ্যায় শহরের পলাশপোল সবুজবাগে তার বাড়ির সামনে প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসীরা এ হামলার চালায়। এতে আহত হয়েছেন সাবিনা, তার বোন সালমা খাতুন ও বাবা সৈয়দ আলী। তবে বোন সালমার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে সদর হাসপাদালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় রাতেই সাবিনার বোন শিরিনা খাতুন বাদী হয়ে চার জনের নাম উল্লেখ করে সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ ইতোমধ্যে এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে সবুজবাগ এলাকার ইমন হোসেন ও লতা বেগম নামের দু'জনকে গ্রেফতার করেছে। সাবিনার বাড়িতে হামলার বিষয় মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, সাতক্ষীরা শহরের জজকোর্ট সংলগ্ন সবুজবাগ এলাকায় জাতীয় নারী ফুটবল দলের খেলোয়াড় সাবিনা খাতুনের বাড়ির সামনে এসে পারিবারিক শত্রুতার জের ধরে তুচ্ছ ঘটনায় প্রতিবেশী ইমনের নেতৃত্বে উক্ত চার জন ব্যক্তি দেশীয় অস্ত্র, রড ও লাঠি সোটা নিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। এ সময় সাবিনার বাবা সৈয়দ আলী বাড়ি থেকে বেরিয়ে তাদের নিষেধ করলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে চড় ও ঘুষি মেরে জখম করে। এরপর সাবিনা ও সালমা তার বাবাকে রক্ষা করার চেষ্টা করলে তারা তাদের উপরও হামলা চালায়। এক পর্যায়ে তারা সালমার মাথায় লোহার রড দিয়ে বাড়ি মারলে তারা মাথা ফেটে গুরুতর জখম হয়। পরে তাদের চিৎকারে স্থানীরা এসে তাদের উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে সাবিনা ও তার বাবা সৈয়দ আলী বাড়ি ফিরলেও তার বোন সালমার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ বিষয় সাতক্ষীরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আসাদুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, শহরের জজকোর্ট সংলগ্ন সবুজবাগ এলাকায় জাতীয় নারী ফুটবল দলের খেলোয়াড় সাবিনা খাতুনের বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় রাতেই সাবিনার বোন শিরিনা খাতুন বাদী হয়ে উক্ত চার জনকে আসামী করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। তিনি আরো জানান, এ ঘটনায় আমরা দুজনকে গ্রেফতার করেছি এবং বাকীদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। | করোনা,বাদী,ভাইরাস,স্থগিত | ফুটবল দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন। | sports |
https://www.ajkerpatrika.com/98232/%E0%A6%B9%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A7%AC-%E0%A6%86%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%B0-%E0%A6%86%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AA%E0%A6%A3 | হত্যা মামলার ৬ আসামির আত্মসমর্পণ | নাটোরের লালপুরে ঈশ্বরপাড়া গ্রামের খাসদিঘি দখলকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় মকলেছুর রহমান হত্যা মামলার ৬ আসামি আত্মসমর্পণ করেছেন। গত সোমবার বিকেলে তাঁরা আইনজীবীর মাধ্যমে নাটোর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। আদালতের বিচারিক মো. সুলতান মাহমুদ জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাঁদের জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।আত্মসমর্পণ করা আসামিরা হলেন ওই গ্রামের মুজাম, সম্রাট, আক্কাস, মেরাজ, রেজাউল ও সাবুল।লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফজলুর রহমান বলেন, এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মামলার প্রধান আসামি বাদশাসহ এ পর্যন্ত ৪১ জন আসামিকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। গত ১৮ নভেম্বর ২০২১ এলাকাবাসীর সঙ্গে মতবিনিময় সভায় নাটোরের পুলিশ সুপার (এসপি) লিটন কুমার সাহা দোষীদের বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার আশ্বাস দিয়ে সম্প্রীতির ঈশ্বরপাড়া গড়ার প্রতিশ্রুতি দেন। সে লক্ষ্যে পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে।উল্লেখ্য, ঈশ্বরপাড়া গ্রামে ১৮ বিঘার খাসদিঘির দখল নিয়ে বাদশাহ ও সাহাবুল দুই পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছিল। এ ঘটনার জের ধরে ২৯ অক্টোবর ভোরে কৃষক মকলেছুর রহমান (৫০) খুন হন। এ ঘটনায় নিহত ব্যক্তির স্ত্রী মরিয়ম বেগম বাদী হয়ে ওই দিন ৩৭ জন নামীয়সহ অজ্ঞাত ব্যক্তিদের নামে লালপুর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। দীর্ঘদিন ধরে খাসদিঘির দখল নিয়ে বিরোধের জেরে উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন নারী-পুরুষ পঙ্গু হয়েছেন। | নাটোর,হত্যা,মামলা,রাজশাহী বিভাগ,হামলা,লালপুর,ছাপা সংস্করণ,রাজশাহী সংস্করণ,রাজশাহী ৬ | হত্যা মামলার ৬ আসামির আত্মসমর্পণ | national |
https://www.bd-pratidin.com/city-news/2016/02/23/128808 | পুলিশের বাসচাপায় শিক্ষার্থী মৃত্যুর প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ | উল্টো দিক থেকে আসা পুলিশের গাড়ির চাপায় শিক্ষার্থীর মৃত্যুর প্রতিবাদে রাজধানীর শ্যামলীতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে আশা ইউনির্ভাসিটির শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে ইউনির্ভাসিটিটির সামনের সড়কে এই বিক্ষোভ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। এদিকে, মঙ্গলবার শিক্ষার্থীদের অবরোধ ও বিক্ষোভের কারণে ওই সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে করে আশপাশের সড়কে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। পরে কর্তৃপক্ষ ওই শিক্ষার্থীর পরিবারকে আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে আর্থিক ক্ষতির আশ্বাস দিলে শিক্ষার্থীরা অবরোধ তুলে নেন। তবে নির্ধারিত তারিখের মধ্যে প্রতিশ্রুতি না রাখা হলেও আবারও সড়ক অবরোধ করা হবে বলে তারা হুঁশিয়ারি করে দেন। বিডি-প্রতিদিন/২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬/মাহবুব | null | সংগৃহিত | national |
https://bangla.dhakatribune.com/bangladesh/2022/02/27/1645956310211 | ১৭ মার্চ পর্যন্ত চলবে বইমেলা | চলমান অমর একুশে বইমেলার সময়সীমা আগামী ১৭ মার্চ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। রবিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান প্রতিমন্ত্রী। কোভিড সংক্রমণের কারণে এ বছর বইমেলা স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সরকার। পরে তা ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়। মেলা চলার কথা ছিল ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। মেলা শুরুর আগে থেকেই প্রকাশক, বিক্রেতা ও পাঠকসহ বই মেলায় সম্পৃক্তরা সময় বাড়ানোর দাবি জানিয়েছিলেন। প্রতিমন্ত্রী জানান, দেশে কোভিডের সংক্রমণ হার নিম্নমুখী হওয়ায় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে অমর একুশে বইমেলা ১৭ মার্চ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। | সরকার,বইমেলা | বাংলা একাডেমি আয়োজিত অমর একুশে বইমেলা মেহেদী হাসান | national |
https://www.bd-pratidin.com/international-news/2022/05/18/770003 | মাটির নীচে পাঁচশ' বাঙ্কার, হামলা মোকাবিলায় ফিনল্যান্ডের 'প্রস্তুতি' | ইউক্রেনে রুশ সামরিক অভিযানের জেরে পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোতে যোগদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফিনল্যান্ড। এরই মধ্যে দেশটির জাতীয় সংসদে ভোটাভুটিতে বিষয়টি পাস হয়েছে। তবে ফিনল্যান্ডের ন্যাটোতে যোগদানের সিদ্ধান্তে চরম ক্ষেপেছে রাশিয়া। কেননা, দেশটির দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে রাশিয়ার। এরই মধ্যে ফিনল্যান্ডের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের হুমকিও দিয়েছে রুশ কর্তৃপক্ষ। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে দেশটিতে সরবরাহকৃত রুশ বিদ্যুৎ। এই পরিস্থিতিতে ফিনল্যান্ডের রাজধানী হেলসিঙ্কিতে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আমল থেকে তৈরি করা মাটির নীচের বাঙ্কারগুলোর কথা প্রকাশ্যে এসেছে। হেলসিঙ্কির ফ্রানজেনিনকাটু স্ট্রিটে বহু প্রাচীন লোহার একটি ঘর রয়েছে। দেওয়ালে নানা গ্রাফিটি, অপরিচ্ছন্ন এই ঘরটি বাইরে থেকে দেখে বোঝার উপায় নেই, ভিতরে প্রযুক্তির কী অসাধারণ নিদর্শন অপেক্ষা করে রয়েছে। ঘরটিতে ঢোকার জন্য একটিমাত্র দরজা। ভিতরে ঢুকলেই সিঁড়ি। নামলে মাটির ২৫ মিটার নীচে পৌঁছে যাওয়া যাবে। তারপর আবার দু'টি ইস্পাতের তৈরি দরজা। এতটাই ভারী যে, দু'জন শক্তিশালী মানুষও খুলতে পারবেন না। সেই দরজা পেরোলে শুরু হবে সুড়ঙ্গ। যার শেষ প্রান্তে অপেক্ষা করছে আরেক হেলসিঙ্কি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন ফিনল্যান্ড আক্রমণ করেছিল রাশিয়া। ১৯৩৯-৪০ সালে সাড়ে তিন মাস ধরে চলা সেই 'উইন্টার ওয়ার'-এ ফিনল্যান্ডের বিপুল ক্ষয়ক্ষতি হয়। আকাশপথে রুশ হামলায় বিশেষ করে ক্ষতিগ্রস্ত হয় রাজধানী হেলসিঙ্কি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হওয়ার পরে হেলসিঙ্কির বাসিন্দাদের জন্য মাটির তলায় বাঙ্কার তৈরি করা শুরু করেন ফিনিশ ইঞ্জিনিয়াররা। ২০০ মাইল ধরে বিস্তৃত মাটির নীচের এই এলাকাটিতে অন্তত ৫০০ বাঙ্কার রয়েছে। সরকারি হিসাব অনুযায়ী, অন্তত ৯ লাখ মানুষের স্থান হবে এই বাঙ্কারগুলোতে। ফলে সহজেই আশ্রয় পাবেন শহরের ৬ লাখ ৩০ হাজার বাসিন্দা। বসবাসের উপযুক্ত তাপমাত্রা বজায় রাখার ব্যবস্থা রয়েছে বাঙ্কারগুলোতে। রয়েছে উপযুক্ত বর্জ্য পরিসেবাও। হকি খেলার স্টেডিয়াম এবং সুইমিং পুলও রয়েছে মাটির নীচের এই 'খুদে শহরে'। রাশিয়ার আগ্রাসী মনোভাবে শঙ্কিত উত্তর-পূর্ব ইউরোপের বহু দেশই। তবে ইতোমধ্যে 'প্রস্তুতি' নিয়ে রাখছে ফিনল্যান্ড। সূত্র: মিরর অনলাইন, ডেইলি মেইল অনলাইন, সিএনবিসি বিডি প্রতিদিন/কালাম | ইউক্রেন, রাশিয়া, পুতিন, জেলেনস্কি, যুদ্ধ, ফিনল্যান্ড, ন্যাটো | মাটির নীচে পাঁচশ' বাঙ্কার, হামলা মোকাবিলায় ফিনল্যান্ডের 'প্রস্তুতি' | international |
https://www.bd-pratidin.com/city-news/2021/10/04/697782 | ঢাবি ছাত্রীর মামলায় নুরের অপরাধের প্রমাণ পায়নি পিবিআই | ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর দায়ের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলায় ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের বিরুদ্ধে কোনো অপরাধের প্রমাণ পায়নি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। রবিবার এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন পিবিআই পরিদর্শক ফরিদা পারভীন লিয়া। এ তথ্য জানিয়েছেন ওই আদালতের পেশকার শামীম আল মামুন। তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, বাদিনীকে উদ্দেশ্য করে নুরের মন্তব্য করা 'দুশ্চরিত্রহীন' শব্দের বিষয়ে বাংলা একাডেমির মতামত নেওয়া হয়। বাংলা একাডেমির অভিমতে বলা হয়, 'দুশ্চরিত্রাহীন' বলে কোনো শব্দ বাংলা ভাষায় নেই। তথাপি 'দুশ্চরিত্রাহীন' শব্দটির অর্থ করা হলে দাঁড়ায় উন্নত চরিত্রের অধিকারী বা সদাচারী বা সৎ স্বভাব বিশিষ্ট। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ভিপি নুরের ফেসবুক আইডি ডিজিটাল ফরেনসিক টিমের মাধ্যমে পরীক্ষা করে মতামত নেওয়া হয়। যাতে দেখা যায়, ২০২০ সালের ১১ অক্টোবর বাদিনীকে উদ্দেশ্য করে, 'ছি! আমরা ধিক্কার জানাই এত নাটক যে করছে সে দুশ্চরিত্রাহীন। ধর্ষণের নাটক করছে স্বেচ্ছায় একটি ছেলের সাথে বিছানায় গিয়ে...' এমন কোনো বক্তব্য তার ফেসবুকে পাওয়া যায়নি। তাই নুরুল হক নুরের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এর ২৫ (১)ক, ২৯(১) ৩১(২) ধারায় অপরাধ প্রমাণিত হয়নি। ২০২০ সালের ১৪ অক্টোবর একই আদালতে মামলাটি দায়ের করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে মামলাটি তদন্ত করে পিবিআইকে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। একই ছাত্রী নুরদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের দুটি মামলা করেছিলেন। বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন | null | নুরুল হক নুর | national |
https://www.prothomalo.com/politics/এটা-তাদের-সাংসারিক-গন্ডগোল-আওয়ামী-প্রশাসন-ভার্সেস-আওয়ামী-লীগ | 'এটা তাদের সাংসারিক গন্ডগোল, আওয়ামী প্রশাসন ভার্সেস আওয়ামী লীগ' | আওয়ামী লীগের মাঠের রাজনীতি থেকে প্রশাসনের রাজনীতি শক্তিশালী হয়ে উঠেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই কথা বলেন। গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, 'আমাদের বরিশালের বিষয় নিয়ে এত কথা বলার প্রয়োজন নেই। এটা তাদের সাংসারিক গন্ডগোল। এটা প্রশাসন বলব না, আওয়ামী প্রশাসন ভার্সেস আওয়ামী লীগ। এটা ঘরোয়া ব্যাপার। এটা থেকে আমাদের কোনো শিক্ষা গ্রহণ করার নেই। মাঠের আওয়ামী লীগের রাজনীতির চেয়ে প্রশাসনে আওয়ামী লীগ রাজনীতি এখন শক্তিশালী। এর যদি কোনো কাফফারা দিতে হয়, তারাই দেবে, আমলারা দেবেন না।' আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতাদের উদ্দেশে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, 'আওয়ামী লীগ সংগঠন নিয়ে দিনরাত ব্যস্ত আছে, এটার প্রয়োজন আছে। তবে আপনারা সংগঠনের শক্তি কতটা অর্জন করলেন, তার জন্য রাজপথে এসে কর্মসূচি করেন। এতে কর্মীদের মধ্যে আশার আলো ও সাহস জোগাবে। একবার যদি ঘরে বসে যান, তবে ঘর থেকে বেরোনোর অভ্যাসটা আর হবে না।' গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, ফাঁসির আসামিদের জামিন হয় কিন্তু খালেদা জিয়ার জামিন দেয় না সরকার। খালেদা জিয়াকে কোন আইনে জামিন দিচ্ছে না সরকার। জনগণ তা জানতে চায়। ঘরে বসে করোনায় না মরে রাজপথে আন্দোলন করে মরে ইতিহাসের পাতায় নাম লিখে রাখতে হবে। গণতন্ত্রের মুক্তির জন্য খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে। গণতন্ত্রের মুক্তি তো আদালত দিতে পারে না। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। সভায় রুহুল কবির রিজভী বলেন, 'প্রশাসনের সঙ্গে আওয়ামী লীগের সংঘাত দেখে আমরা বিস্মিত হই। এই প্রশাসনের কর্মকর্তারা আজ আওয়ামী লীগের থেকে শক্তিশালী। প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা বলছেন, "আমরা বন্দুক দিয়েছি গুলি পকেটে রাখার জন্য না।" এই পরিণতির জন্য দায়ী সরকার। কোনো সহানুভূতির জায়গা নেই। আজ তাদের দলে সত্য বলার মতো লোক নেই। আপনাদের ওপর আক্রমণ হচ্ছে, তা-ও কথা বলছেন না। এই পরিস্থিতি চলতে পারে না।' দেশের করোনা প্রসঙ্গে এই নেতা বলেন, 'করোনা নিয়ে বিভ্রান্তির রাজনীতি করছে আওয়ামী লীগ। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বেকুবের মতো বলছেন, করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক। সংবাদে আসছে, হাসপাতালে চিকিৎসা সরঞ্জাম নেই। প্রতিদিন মানুষ মারা যাচ্ছে। সরকার করোনা মোকাবিলায় সম্পূর্ণ ব্যর্থ।' সভা সঞ্চালনা করেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদির ভূঁইয়া। সভায় বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা অংশ নেন। | বরিশাল সিটি করপোরেশন,বিএনপি,প্রশাসন | বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় | politics |
https://www.ajkerpatrika.com/89845/%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%AD%E0%A7%9F%E0%A7%87-%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%81%E0%A6%B7%E0%A6%B6%E0%A7%82%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%AF-%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%B2 | মামলার ভয়ে পুরুষশূন্য জাঙ্গাল | গত ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচনের আগের রাতে বন্দরের ধামগড়ে ভোট ডাকাতির গুঞ্জনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান কামাল হোসেনের অনুসারীদের সঙ্গে। ওই ঘটনায় প্রায় ২০০ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে বলে জানা গেছে। গ্রেপ্তারে গত শনিবার রাত থেকেই ডিবি পুলিশের ধারাবাহিক অভিযান চলছে জাঙ্গাল এলাকায়। আসামিদের তালিকা না জানায় গ্রেপ্তার আতঙ্কে পুরো এলাকা এখন পুরুষশূন্য অবস্থায়।গত সোমবার দিনব্যাপী উপজেলার ধামগড় ইউনিয়নের জাঙ্গাল এলাকা ঘুরে যে কয়টি বাড়ির সামনে নারীদের উপস্থিতি দেখা গেছে, তাদের সকলের চোখেমুখে ছিল আতঙ্কের ছাপ। প্রতিবেদকের উপস্থিতি দেখে বারবারই জিজ্ঞেস করেছেন 'আপনি কি প্রশাসনের লোক?' তবে গণমাধ্যমকর্মী পরিচয় জেনেই হতাশা প্রকাশ করে নিজেদের আতঙ্কের কথা তুলে ধরেছেন। বাড়িতে পুরুষদের উপস্থিতি না থাকলেও পুলিশের বিরুদ্ধে গেট পিটিয়ে ভাঙা, অর্থ লুট, আসবাবপত্র ভাঙচুর ও নারীদের অপমান অপদস্থ করার অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী।জাঙ্গাল পূর্বপাড়া এলাকার বাসিন্দা নাজমা বেগম বলেন, 'শনিবার ভোরে শুনি চেয়ারম্যান বাড়িতে পুলিশ আইসে। আমার পোলা সোহেলে (৩৪) কয় পুলিশ আইসে তো আমাগো কী? এরপরে পুলিশ আমাগো গেটের তালা ভাইঙ্গা আমার পোলারে মারধর কইরা ধইরা নিয়া গেছে। আমাগো জানালার গ্লাস ভাঙছে। স্টিলের আলমারি খুলতে কইয়া ১৮ হাজার টাকার মতো নিয়া গেছে। আর অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ তো আছেই।'একই এলাকার বানেছা খাতুন (৭৫) বলেন, 'আমার পোলা দ্বীন ইসলাম কোনো দিনও এসব নির্বাচনের কামে যায় নাই। অয় জাঙ্গাল স্ট্যান্ডে পুরি বানায়া বেচে। শনিবার ভোরে আইসা পুলিশ আমাগো দরজা বাইরাইয়া ভাঙছে। তারপর ভেতরে ঢুইকা ইচ্ছামতো গালাগালি করছে। আমি হেগো কথা শুইনা ভয়ে ঠান্ডা হইয়া গেসি। আমার পোলারে যে ধইরা নিল, আমি একটা টুঁ শব্দও করতে পারি নাই।'চেয়ারম্যান কামাল হোসেনের বাড়ির পাশের এক বাসিন্দা জানান, তিনি শনিবার রাতের অভিজ্ঞতা আর এলাকায় পুলিশের আতঙ্কে ঘর থেকেই বের হতে সাহস পাচ্ছেন না। তিনি বলেন, 'করোনার সময়েও এত ডরাইসি না। তখনো ভালো ভালো খাইসি চলছি। এখন কয়েকটা দিন ধইরা না পারি ঠিকমতো খাইতে, না পারি ঘুমাইতে। কিস্তি নিতে আইলে হেই ট্যাকা দিমু কইত্তে? কিস্তির স্যাররে কইসি কয়েকটা দিন মাফ করতে। দেখেনই তো আমাগো এলাকার কী অবস্থা। ভোটাভুটি করে নেতারা, আর দৌড়ের ওপর থাহন লাগে আমগো।'জানা যায়, গত ১০ নভেম্বর দিবাগত রাত ছিল ইউপি নির্বাচনের আগের মুহূর্ত। সে সময় বন্দরের জাঙ্গাল এলাকায় ভোট ডাকাতির গুঞ্জন তুলে পুরো মহাসড়কে অবস্থান নেন স্বতন্ত্র প্রার্থী (নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান) কামাল হোসেনের অনুসারীরা। পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষে আহত হয় অন্তত ১৫ জন। পুলিশের দুই সদস্যকে গুরুতর জখম করে হামলাকারীরা। এই ঘটনায় আহত জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপসহকারী পরিদর্শক আবদুল হাই বাদী হয়ে মামলা করেন। এই মামলায় এখন পর্যন্ত ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলায় প্রায় ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। তবে আসামিদের তালিকা জানা যায়নি। গ্রেপ্তারে গত শনিবার রাত থেকেই ডিবি পুলিশের অব্যাহত অভিযানে এলাকাজুড়ে এখন কেবল পুলিশ আতঙ্ক। নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান কামাল হোসেন ও তাঁর বড় ভাই আজিজুল হক এলাকায় নেই। আসামি হওয়া থেকে বাঁচতে পুরো জাঙ্গাল এখন পুরুষশূন্য অবস্থায়। যাঁরা আছেন, তাঁরা হয় স্কুল শিক্ষার্থী অথবা এলাকার প্রবীণ বাসিন্দা।ইজ্জত আলী দেওয়ান (৭০) নামে এক প্রবীণ বাসিন্দা বলেন, 'এলাকায় এখন রাস্তাঘাটে মানুষ বাইর হয় না। ধইরা অত্যাচার করে, মারধর করে। ভয়ে এখন গ্রামশূন্য হইয়া গেছে, গ্রামে কোনো লোক থাকতে পারে না। কিছুক্ষণ পরপরেই পুলিশ আসে। হেরা রাতে আসে, দিনে আসে। মানুষরে ভালা মন্দ কিছু জিগায় না। যারে পায় হেরেই ধইরা নিয়া যায়। দোকানপাট সব বন্ধ, দোকান খুললেই মারে, ধইরা নিয়া যায়।'এসব অভিযোগের বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিবি) জাহেদ পারভেজ চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, 'যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তারা মামলার আসামি। আর যদি কারও কোনো মালামাল খোয়া যায়, তাহলে লিস্ট দিতে বলেন। আমরা সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।' | নারায়ণগঞ্জ,ঢাকা বিভাগ,ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন,বন্দর,ইউনিয়ন পরিষদ,ছাপা সংস্করণ,রাজধানীর চারপাশ | গ্রেপ্তার-আতঙ্কে এলাকা ছেড়েছেন অনেকে। বিকেলের পরেই সুনসান নীরবতা। গত সোমবার ধামগড়ের জাঙ্গাল এলাকায় | national |
https://www.prothomalo.com/world/asia/ছেলের-কাণ্ডে-বিপাকে-জাপানের-প্রধানমন্ত্রী-সুগা | ছেলের কাণ্ডে বিপাকে জাপানের প্রধানমন্ত্রী সুগা | জাপানে করোনাভাইরাস টিকা কর্মসূচি, অর্থনীতির নাজুক অবস্থাসহ নানা বিষয়ে বিব্রতকর অবস্থায় আছে প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদে সুগার সরকার। এসবের বাইরে নিজের পরিবারের সদস্যদের অনিয়ম-দুর্নীতি প্রকাশ হওয়ায় নতুন করে সমস্যায় পড়েছেন সুগা। নতুন এ সমস্যার মূলে আছেন সুগার বড় ছেলে সেইগো সুগা। তিনি টেলিভিশন অনুষ্ঠান নির্মাতা ও উপগ্রহ সম্প্রচার চালানো একটি কোম্পানিতে চাকরি করেন। এসব কোম্পানির লাইসেন্স সাধারণত জাপানের যোগাযোগ মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া হয়। সেইগো সুগার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল যে মন্ত্রণালয়ের চারজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা তাঁর সঙ্গে টোকিওর একটি রেস্তোরাঁয় পানাহার করেছেন। জাপানে মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ব্যবসাসংক্রান্ত স্বার্থ জড়িত থাকা বেসরকারি খাতের কোনো কোম্পানির নির্বাহীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ বজায় রাখাকে স্বার্থের দ্বন্দ্ব বা কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট হিসেবে গণ্য করা হয়। সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য যা সদাচরণবহির্ভূত। জাপানের সাপ্তাহিক সাময়িকী 'শুকান বুনশুনে'র অনলাইন সংস্করণ ফেব্রুয়ারির শুরুতে এ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এরপর বিষয়টি নিয়ে জাপানের সংসদে প্রধানমন্ত্রী সুগাকে জবাবদিহি করতে হয়েছিল। পর্যায়ক্রমে জাপানের অন্যান্য সংবাদমাধ্যমও বিষয়টি নিয়ে উঠেপড়ে লাগে। পরে জানা যায়, চারজন নয়, জাপানের যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের অন্তত ১৩ কর্মকর্তা প্রধানমন্ত্রীর ছেলের সঙ্গে পানাহারে অংশ নিয়েছেন। শুধু তা-ই নয়, সেইগো সুগা ওই সরকারি কর্মকর্তাদের উপহার এবং ট্যাক্সি ভাড়ার ভাউচারও দিয়েছিলেন। বিনিময়ে প্রধানমন্ত্রীর ছেলে বা তাঁর কোম্পানি ওই সব সরকারি কর্মকর্তার কাছ থেকে কী সুবিধা নিয়েছেন, জাপানের সংবাদমাধ্যমগুলো এখন এর খোঁজ করছে। মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের এমন অপরাধের জন্য শাস্তি পেতে হয়েছে। ১৩ কর্মকর্তার সবাইকেই নৈতিকতা বিধি লঙ্ঘনের জন্য তিরস্কার করা ছাড়াও তাঁদের বেতন কাটা হয়েছে। এ ছাড়া শুরুতে যে চারজনের নাম এসেছিল, তাঁদের ইতিমধ্যে পদাবনতি দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করেছে যে অভিযুক্ত কর্মকর্তারা মোট ৩৯ বার সুগার পুত্রের আপ্যায়নে অংশ নিয়েছেন। জাপানের সংসদে নিয়মিত প্রশ্নোত্তর পর্বে প্রধানমন্ত্রী সুগাকে ছেলের আচরণের জন্য বিরোধী দলের প্রশ্নবাণে জর্জরিত হতে হচ্ছে। সুগা অবশ্য সাংবাদিকদের বলেছেন, তাঁর ছেলের এ ঘটনায় তিনি সত্যিকার অর্থে দুঃখিত এবং জাপানের জনগণের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। শুরুতে অবশ্য তিনি আত্মপক্ষ সমর্থন করে বলেছিলেন, তাঁর ছেলে প্রাপ্তবয়স্ক। ছেলে কী করছে না করছে তার ওপর বাবার কোনো হাত নেই। মন্ত্রণালয়ের অভিযুক্ত ১৩ কর্মকর্তার একজন হচ্ছেন মন্ত্রণালয়ের সাবেক নীতি সমন্বয়বিষয়ক সচিব ও বর্তমানে মন্ত্রিসভার জনসংযোগ সচিবের দায়িত্বে নিয়োজিত মাকিকো ইয়ামাদা। সেইগো সুগা যে পানাহারে তাঁকে আপ্যায়িত করেছেন সেখানে কেবল একজনের নৈশভোজের বিল ছিল ৭৪ হাজার ইয়েন বা প্রায় ৭০০ মার্কিন ডলার। জাপানের মন্ত্রিসভার চিফ কেবিনেট সেক্রেটারি কাৎসুনোবু কাতো চলতি সপ্তাহের নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী ইতিমধ্যে ইয়ামাদাকে সতর্ক করে দিয়েছেন এবং ইয়ামাদা নিজে স্বেচ্ছায় আপ্যায়নের পুরো অর্থ জমা দেওয়া ছাড়াও নিজের এক মাসের বেতন থেকে ৬০ শতাংশ ফিরিয়ে দিয়েছেন। সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে বিরোধী দলের সাংসদেরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে জানতে চেয়েছিলেন, এত বিশাল অঙ্কের মূল্য পরিশোধ করে তাঁর ছেলে আমন্ত্রিতদের কী খেতে দিয়েছিলেন, তা তাঁরা জানতে চান। প্রধানমন্ত্রী নিজে সেই প্রশ্নের উত্তর না দিলেও চিফ কেবিনেট সেক্রেটারি পরে রাতের পানাহারের মেনুর একটি তালিকার বর্ণনা দেন। | দুর্নীতি,এশিয়া,জাপান | সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে নিজের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদে সুগা | international |
https://www.ajkerpatrika.com/76778/%E0%A6%AA%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%9C%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%87-%E0%A7%A8%E0%A7%AB-%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%9C%E0%A6%BF%E0%A6%B0-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A7%9C | পদ্মায় জেলের জালে ২৫ কেজির বাগাড় | রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে দৌলতদিয়ার পদ্মা নদীতে জেলের জালে ২৫ কেজি ওজনের একটি বাগাড় ধরা পড়েছে। গতকাল বুধবার সকাল ৮টার দিকে দৌলতদিয়া ৭ নম্বর ফেরিঘাট এলাকায় পদ্মা নদীর মোহনায় স্থানীয় জেলে জয় হালদারের জালে মাছটি ধরা পড়ে। পরে সেটি ১ হাজার ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হয়।জয় হালদার জানান, গতকাল ভোরে কয়েকজন জেলের সঙ্গে তিনিও নদীতে মাছ ধরতে যান। শুরুতে কয়েকবার জাল ফেলে কোনো মাছ না পেয়ে তিনি হতাশ হন। পরে সকাল ৭টার দিকে আবার জাল ফেলে ঘণ্টাখানেক পর তুলে দেখেন একটি বড় বাগাড় মাছ আটকা পড়েছে। পরে তিনি মাছটি বিক্রির জন্য দৌলতদিয়ার ৫ নম্বর ফেরিঘাটে আনেন। সেখানে নিলামে ১ হাজার ২০০ টাকা কেজি দরে মোট ৩০ হাজার টাকায় শাহজাহান শেখ নামের এক আড়তদার মাছটি কেনেন।শাহজাহান শেখ জানান, তিনি মাছটি বিক্রির জন্য মোবাইল ফোনের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন জায়গায় যোগাযোগ করছেন। ১ হাজার ৩০০ টাকা কেজি দর পেলেই বিক্রি করবেন। | যশোর,রাজবাড়ী,গোয়ালন্দ,ছাপা সংস্করণ,যশোর সংস্করণ,যশোর ৭ | জেলের জালে ধরা পড়া ২৫ কেজি ওজনের বাগাড়। | national |
https://www.bhorerkagoj.com/2021/10/19/%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%82%e0%a6%b2%e0%a6%be%e0%a6%a6%e0%a7%87%e0%a6%b6%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%aa%e0%a6%b0%e0%a6%bf%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%a5%e0%a6%bf%e0%a6%a4%e0%a6%bf-%e0%a6%a8%e0%a6%bf%e0%a7%9f/ | বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে ভারতীয় তারকাদের খোলা চিঠি | বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন ওপার বাংলার মানুষেরাও। এবার এ ইস্যুতে খোলা চিঠি লিখলেন কলকাতার তারকা দেবশংকর হালদার, ঋত্বিক চক্রবর্তী, শান্তিলাল মুখোপাধ্যায়, কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়, ঋদ্ধি সেন, কৌশিক সেন, সুদীপ্তা চক্রবর্তী। এছাড়া সম্প্রতি পূজামন্ডপ ও হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে বেশ সরব হয়েছেন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়। অন্যদিকে, চিঠিতে পূজা মন্ডপে হামলা ও নানা অবাঞ্ছিত ঘটনার নিয়ে কথা বলা হয়েছে। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিও জানানো হয় এতে। চিঠিতে বাংলাদেশের সংবেদনশীল মানুষ এবং সচেতন সরকারের কাছে আবেদন জানিয়ে লেখা হয়েছে, 'এই সব দেশবিরোধী, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী, জাতির জনকের উদার বিশ্বাস আর বর্তমান সরকারের নীতির বিরোধী, বিদ্বেষমূলক ও প্ররোচনামূলক এই শক্তিগুলিকে সত্বর চিহ্নিত করুন এবং তাদের নিষ্ক্রিয় করুন। যারা এবার দুর্গাপূজায় উপদ্রব করেছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিন, যাতে এই অপশক্তিরা বোঝে যে অন্যের ধর্মের ক্ষতি করে নিজের ধর্মের মহিমা প্রতিষ্ঠা করা যায় না, রাষ্ট্রও সে অপরাধ ক্ষমা করে না। বাংলাদেশ সরকারের কাছে আমাদের নিবেদন, আমরা নিজেদের দুই দেশের মানুষের অকৃত্রিম বন্ধু মনে করি, তাই এই ব্যাকুল আবেদন।' যারা এই বক্তব্যের সঙ্গে সহমত, তাদের বার্তাটি কপি পেস্ট করে তাতে নিজেদের নাম যোগ করে ফেসবুক ওয়ালে পোস্ট করার আবেদন জানানো হয়। পবিত্র সরকার, কৌশিক সেন, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, চন্দন সেন, সুজয়প্রসাদ চট্টোপাধ্যায়ের নামও এই খোলা চিঠিতে রয়েছে। এছাড়া পরমব্রত সোশ্যাল মিডিয়ায় একটা লম্বা পোস্ট করেন। লেখেন, 'বাংলাদেশে কয়েকটি বিক্ষিপ্ত ঘটনা তুলে ধরে, বিদ্বেষ সর্বত্র ছড়িয়ে গেছে এটা বলতে থাকাটা উস্কানি দেওয়া ছাড়া আর কিছুই নয়। এই ঘটনাগুলো থেকে যদি প্রমাণ হয় যে, বাংলাদেশে হিন্দুরা বিপন্ন, তাহলে ভারতে গত সাত বছরে এরকম অগুনতি ঘটনা ঘটেছে এবং ঘটে চলেছে এবং যেগুলো নিয়ে দেশনেতারা অভূতপূর্বভাবে চুপ থেকেছেন। যেগুলো থেকে আরও সহজে প্রমাণ হয় যে ভারতে মুসলমানরা বিপন্ন! বাংলাদেশে আমার সমস্ত বন্ধুদের কাছে তাই আমার একান্ত অনুরোধ, কুমিল্লা বা নোয়াখালীতে ঘটে যাওয়া ঘটনার তীব্র নিন্দা করুন কোনও দ্বিধা না রেখে, দোষীদের কঠোর শাস্তি দাবি করুন।' | উদ্বিগ্ন,চিঠি,তারকা | সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন ওপার বাংলার তারকারা | entertainment |
https://samakal.com/whole-country/article/210460422/মোটরসাইকেল-চালকের-চোখে-মরিচের-গুঁড়া-ছিটিয়ে-ছিনতাই | মোটরসাইকেল চালকের চোখে মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে ছিনতাই | দিনাজপুরের ফুলবাড়ী থেকে আটপুকুর যাবার পথে মোটরসাইকেল চালকের চোখে মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে প্রায় সাড়ে তিন লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা। বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে ফুলবাড়ী উপজেলার সুজাপুর তেঁতুল তলার অদূরে এই ঘটনা ঘটে। ছিনতাইয়ের শিকার ওই ব্যক্তির নাম মো. মাহাবুর সরকার। জানা গেছে, দুপুর ১টার দিকে উত্তরা ব্যাংকের ফুলবাড়ী শাখা থেকে তিন লাখ ৩৮ হাজার টাকা উত্তোলন করেমোটরসাইকেলে একাই বাড়িতে ফিরছিলেন মো. মাহাবুর। পথে সুজাপুর তেঁতুল তলার অদূরেই তিনটি মোটরসাইকেলে করে ছয়জন মাহাবুরকে ঘিরে ধরেন। এসময় দুর্বৃত্তদের একজন মাহাবুরের চোখে মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে দেয়। পরে তারা মাহবুরের কাছে থাকা ৩ লাখ তিরিশ হাজার টাকার ব্যাগ ছিনিয়ে নেয়ে। তবে মাহবুরের অন্য পকেটে থাকা আট হাজার টাকা তারা নিতে পাড়েনি। মাহাবুরের বড় ভাই মোশাররফ হোসেন বলেন, মেসার্স সরকার ট্রেডার্স আমাদের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। আটপুকুর হাটে প্রায় এভাবেই যাতয়াত করি টাকা নিয়ে। কিন্তু আজ এমন দুর্ঘটনা ঘটবে ভাবিনি। এদিকে খবর পেয়ে ফুলবাড়ী থানার এসআই মো. আরিফ এবং এসআই দেবিকান্ত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তারা জানান, এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। | ছিনতাই,দিনাজপুর,ফুলবাড়ী | ছিনতাইয়ের শিকার মাহাবুর | national |
https://www.prothomalo.com/life/durporobash/টিকা-নেওয়া-যাত্রীদের-জন্য-হোম-কোয়ারেন্টিনের-ভাবনা-অস্ট্রেলিয়ার | টিকা নেওয়া যাত্রীদের জন্য হোম কোয়ারেন্টিনের ভাবনা অস্ট্রেলিয়ার | টিকা নেওয়া আন্তর্জাতিক যাত্রীদের হোম কোয়ারেন্টিনের ব্যবস্থা করার চিন্তা করছে অস্ট্রেলিয়া সরকার। আজ শুক্রবার সকালে অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন। অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে তাঁদের অন্য কিছুও ভাবতে হবে। টিকা দেওয়া হয়ে গেছে-এমন যাত্রীরা যখন অস্ট্রেলিয়ায় আসবেন, তাঁদের জন্য হোম কোয়ারেন্টিন বা বিকল্প ব্যবস্থা চালু করতে হবে। এ ছাড়া যদি টিকা দেওয়া থাকে, তাহলে কেবল সাত দিনের জন্য হোটেল কোয়ারেন্টিনের ব্যবস্থা করা যায় কি না, সেটাও ভাবছে অস্ট্রেলিয়া সরকার। অস্ট্রেলিয়ার প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা অধ্যাপক পল কেলি বলেছেন, 'আপনি কোথা থেকে আসছেন, কতটুকু ঝুঁকি নিয়ে আসছেন বা টিকা নেওয়া হয়েছে কি না ইত্যাদি বিষয়ও বিকল্প কোয়ারেন্টিনের সময় চিন্তা করা হবে।' বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ায় বিদেশ থেকে এলে টিকা নেওয়া বা না নেওয়া সবাইকে বাধ্যতামূলক ১৪ দিনের হোটেল কোয়ারেন্টিন করতে হয়। করোনার ডেলটা ধরন থেকে উদ্ভূত ঝুঁকির কারণে নতুন পরিকল্পনার আওতায় অস্ট্রেলিয়ায় আগত আন্তর্জাতিক যাত্রীর সংখ্যা অর্ধেকে নামিয়ে আনার প্রস্তাব পাস হয়েছে জাতীয় মন্ত্রিসভায়। ফলে আগে যেখানে অস্ট্রেলিয়ায় প্রতি সপ্তাহে ৬ হাজার ৩৭০ জন আসতে পারতেন, এখন সেখানে ৩ হাজার ১৮৫ জন আসতে পারবেন।সিডনির নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী (প্রিমিয়ার) গ্ল্যাডিস বেরেজিক্লিয়ান আন্তর্জাতিক যাত্রীদের সংখ্যা হ্রাস করতে 'নারাজি' দিয়েছেন। মহামারি শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ায় করোনায় ৩০ হাজার ৬৮৫ জন সংক্রমিত হয়েছে। তার মধ্যে ৯১০ জন মারা গেছেন। বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ায় সংক্রমিত অবস্থায় আছেন ৩৩৯ জন। তাঁদের মধ্যে আইসিইউতে ভর্তি আছেন চারজন। অস্ট্রেলিয়ায় এখন পর্যন্ত ২ কোটি ১০ লাখের বেশি করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ায় করোনার ডেলটা ধরনের সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এ কারণে কিছু জায়গা ছাড়া অস্ট্রেলিয়াজুড়ে লকডাউন চলছে। ৯ জুলাই পর্যন্ত এই লকডাউন চলবে। অনেক দিন ধরে অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যে সংক্রমণের হার ছিল প্রায় শূন্যের ঘরে। কিন্তু গত মাসের মাঝামাঝি হঠাৎ করে বাড়তে থাকে সংক্রমণ। তারপরই লকডাউন ঘোষণা করে সরকার। তবে সরকার এখন বলছে, লকডাউন হবে সবশেষ পদক্ষেপ। অস্ট্রেলিয়ায় গতকাল পর্যন্ত ৭৯ লাখ ৭০ হাজার ১৫৩ ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের ৩০ শতাংশের বেশি টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছে। যার মধ্যে ৫০ শতাংশের বেশি ৫০ বছরের ও ৭০ শতাংশের বেশি ৭০ বছরের বেশি বয়সী মানুষ রয়েছেন। নতুন করে কোনো অস্ট্রেলিয়াপ্রবাসী বাংলাদেশির করোনায় সংক্রমিত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। | করোনা বিশ্ব,সরকার,অস্ট্রেলিয়া,করোনাভাইরাস | অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন | international |
https://www.prothomalo.com/bangladesh/আশুলিয়ায়-অগ্নিকাণ্ডের-ঘটনায়-থানায়-মামলা | আশুলিয়ায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় থানায় মামলা | কারখানার ভেতরের জুতা বানানোর সব উপাদান ভস্মীভূত। জুতা তৈরির পেস্টিংয়ের পোড়া টিন পড়ে আছে। পড়ে আছে পুড়ে যাওয়া জুতা বানানোর মেশিনগুলোও। এসব পোড়া যন্ত্রপাতি অনেকেই নেড়েচেড়ে দেখছেন। ঢাকার সাভারের আশুলিয়ার টঙ্গাবাড়ি এলাকার বঙ্গবন্ধু সড়কের পাশে ইউনিওয়ার্ল্ড ফুটওয়্যার টেকনোলজি লিমিটেড জুতার কারখানার বৃহস্পতিবারের বিকেলের চিত্র এটি। এর আগে গত বুধবার বিকেলে টঙ্গাবাড়ির বঙ্গবন্ধু রোডে ইউনিওয়ার্ল্ড ফুটওয়্যার টেকনোলজি নামের জুতার কারখানায় ওই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আগুন নিয়ন্ত্রণের পর টাঙ্গাইল সদরের ইমারত হোসেনের মেয়ে সুমাইয়া (১২), খুলনার পাইকগাছার আবদুল হামিদের স্ত্রী শাহানারা বেগম (৪৫) ও অজ্ঞাতনামা এক পুরুষের লাশ উদ্ধার করেন ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। এদিকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আশুলিয়া থানায় আজ মামলা করেছেন নিহত শাহানারার স্বামী মো. আবদুল হামিদ। এ মামলায় কারখানার মালিক মিজানুর রহমান, প্রশাসনিক কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলামসহ অজ্ঞাতনামা কর্মকর্তাদের আসামি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে কারখানায় গিয়ে একাধিক শ্রমিকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ছয় মাস আগেও এটি গুদাম হিসেবে ব্যবহার করা হতো। এরপর সব মালামাল সরিয়ে নতুন করে বসানো হয় জুতা তৈরির সরঞ্জাম। বুধবার ছুটির ঠিক আগমুহূর্তে বিকট শব্দে মূল ফটকের সোজাসুজি ভবনের পশ্চিম পাশের দেয়ালঘেঁষা অংশে আগুনের সূত্রপাত হয়। নিচতলার অনেকেই তখন ফটক দিয়ে বের হয়ে যান। দোতলার শ্রমিকেরা বের হতে চাইলে সুপারভাইজার আগুন নিভে যাবে উল্লেখ করে তাঁদের আটকিয়ে দেন। তবে আগুনের তীব্রতা বাড়তে থাকলে নিষেধ অমান্য করেই তাঁরা বের হতে যান। অনেকেই বেরোতে পারলেও আটকা পড়েন কেউ কেউ। ঝুমুরও তাঁদেরই একজন। ঝুমুর বলেন, লোহার সিঁড়ি দিয়ে দোতলা থেকে নামতে গিয়ে লাফ দিয়ে নিচে রাখা ফোমের রোলের ওপর পড়েন তিনি। টিনের শেডের নিচে দেওয়া ইনস্যুলেশন/ফয়েল গলে গলে তখন পড়ছিল মেঝেতে। তারই কিছু পড়ে ঝুমুরের হাতেও। পায়ে লেগে যায় তপ্ত জুতা তৈরির পেস্টিং। ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন কারখানায় অনেক কষ্টে চলে যান জানালার কাছে। সেখানে আরও দুই-তিনজন আগে থেকেই দাঁড়িয়ে ছিলেন বাঁচার আকুতি নিয়ে। তাঁদের চিৎকারে এগিয়ে আসেন স্থানীয়রা। তাঁরা জানালা ভেঙে উদ্ধার করেন ঝুমুর, জোসনা ও সাথীকে। হাতে ও পায়ে পোড়া ক্ষত নিয়ে বিছানায় কাতরাচ্ছিলেন জোসনা। কথা হয় তাঁর সঙ্গেও। তিনি বলেন, 'সুপারভাইজার আগুন লাগার শুরুতে আমাদের বের হতে দিলে অনেকেই বাইচা যাইত।' আগুনে হাতের কিছু অংশ পুড়ে গেছে সাথী আক্তারের। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, 'দুপুরের দিকে ৫০ টিন পেস্টিং (জুতা তৈরির আঠা) কারখানায় আনা হয়। ফ্লোরেই সেগুলো রাখা ছিল। প্রথমে আমরা অল্প একটু আগুন দেখলেও হুট করেই দেখি আগুন সব জায়গায় ছড়িয়ে পড়েছে। আগুন নেভানোর কিছুই ছিল না কারখানায়।' মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সুদীপ কুমার গোপ প্রথম আলোকে বলেন, নিহত দুই নারীর লাশ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। অপর অজ্ঞাতনামা পুরুষের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে পরিচয় নিশ্চিত হয়ে এরপর তাঁর লাশ হস্তান্তর করা হবে। | আশুলিয়া,মামলা,সাভার | আশুলিয়ার টঙ্গাবাড়ি এলাকার বঙ্গবন্ধু সড়কের পাশে ইউনিওয়ার্ল্ড ফুটওয়্যার টেকনোলজি লিমিটেড জুতার কারখানার পুড়ে যাওয়া যন্ত্রপাতি | national |
https://www.ajkerpatrika.com/148303/%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%AA%E0%A6%AA%E0%A6%A4%E0%A6%BF-%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%9B%E0%A6%BF%E0%A6%B0-%E0%A6%89%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A6%B0%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B9-%E0%A6%86%E0%A6%B8%E0%A6%9B%E0%A7%87-%E0%A6%86%E0%A6%9C | শিল্পপতি নাছির উদ্দিনের মরদেহ আসছে আজ | রপ্তানিমুখী পোশাকশিল্পের অন্যতম পথিকৃৎ প্যাসিফিক জিন্সের চেয়ারম্যান এম নাছির উদ্দিনের মরদেহ আজ বুধবার চট্টগ্রামে আসছে। এদিকে তাঁর মৃত্যুতে চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিসহ চট্টগ্রামের বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠন, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ, মন্ত্রী-এমপিরা শোকবার্তা পাঠিয়েছেন।শোকবার্তায় তাঁরা বলেন, নাছির উদ্দিনের মৃত্যুতে চট্টগ্রামের গার্মেন্ট শিল্প পরিবার একজন অন্যতম অভিভাবক হারাল। তাঁর অনুপস্থিতিতে যে শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে, তা কখনো পূরণ হওয়ার নয়।গত সোমবার বিকেল ৩টা ১৫ মিনিটে থাইল্যান্ডের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এম নাছির উদ্দিন মারা যান। আজ বুধবার সকালে বিমানযোগে তাঁর মরদেহ চট্টগ্রামে আনা হবে। এরপর চট্টগ্রামে তিনটি জানাজা শেষে মরদেহ তাঁর নিজ বাড়ি সীতাকুণ্ডের ছলিমপুরে সমাহিত করা হবে।মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী ও তিন ছেলে রেখে গেছেন।চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালকমণ্ডলীর পক্ষে সভাপতি মাহবুবুল আলম ও সিনিয়র সহসভাপতি তরফদার মো. রুহুল আমিন গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। চেম্বার থেকে পাঠানো শোক বার্তায় তাঁরা বলেন, মরহুম দেশের একজন শীর্ষস্থানীয় শিল্পপতি এবং সিআইপি। তৈরি পোশাক রপ্তানি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও শিল্প উন্নয়নের ক্ষেত্রে তিনি অন্যতম পথিকৃৎ। তাঁর প্রতিষ্ঠান দেশের সেরা রপ্তানিকারক হিসেবে বহু বছর যাবৎ রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতিপ্রাপ্ত। তিনি বিভিন্ন সমাজসেবী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গেও সম্পৃক্ত ছিলেন। তাঁরা মরহুমের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানানোসহ তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন। তাঁর মৃত্যুতে যে শোক ও শূন্যতার সৃষ্টি হয়েছে তা যাতে তাঁর পরিবারের সদস্যরা সইতে পারেন সে জন্য পরম করুণাময় আল্লাহর রহমত কামনা করেন।বিকেএমইএ থেকে পাঠানো শোকবার্তায় সংগঠনটির সহসভাপতি ফোর এইচ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গাওহার সিরাজ জামিল বলেন, এম নাছির উদ্দিন চট্টগ্রাম তথা বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতের অন্যতম কিংবদন্তি। দেশের শিল্পায়ন, কর্মসংস্থানসহ জাতীয় রপ্তানিতে তাঁর অবদান অপরিসীম।শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল শোকবার্তায় বলেন, বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি খাতের উন্নয়ন ও প্রসারে নাছির উদ্দিন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি অনেক মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছেন। তাঁর মতো একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ীর মৃত্যুতে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি খাতের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে।শোকবার্তায় এম এ লতিফ এমপি বলেন, নাছির উদ্দিন দেশের একজন শীর্ষস্থানীয় শিল্পপতি এবং সিআইপি। তৈরিপোশাক রপ্তানি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও শিল্প উন্নয়নের ক্ষেত্রে তিনি অন্যতম পথিকৃৎ। তিনি বিভিন্ন সমাজসেবী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গেও সম্পৃক্ত ছিলেন।এ ছাড়া তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহমুদ, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী বিপ্লব বড়ুয়া, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী, সাবেক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন, এফবিসিসিআইয়ের সাবেক পরিচালক আমীরুল হক, চট্টগ্রাম উইমেন চেম্বারের সভাপতি মনোয়ারা হাকিম আলীও শোক জানিয়েছেন। | উন্নয়ন,মৃত্যু,চট্টগ্রাম বিভাগ,পোশাকশিল্প,এফবিসিসিআই,চট্টগ্রাম ,ছাপা সংস্করণ,চট্টগ্রাম সংস্করণ,শোক,আজকের চট্টগ্রাম | প্যাসিফিক জিন্সের চেয়ারম্যান নাছির উদ্দিন ২০১২ সালে প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে পুরস্কার নেন। | national |
https://www.prothomalo.com/bangladesh/district/টঙ্গীতে-ইফতারের-টাকার-দাবিতে-শ্রমিকদের-বিক্ষোভ | টঙ্গীতে ইফতারের টাকার দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ | গাজীপুরের টঙ্গীতে ইফতারের টাকার দাবিতে কারখানার ভেতরে বিক্ষোভ করেন একটি পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা। আজ মঙ্গলবার বেলা আড়াইটার দিকে টঙ্গীর জাবের-যুবায়ের নামের কারখানায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় মালিকপক্ষ দাবি মেনে নেওয়ায় প্রায় দুই ঘণ্টা পর শ্রমিকেরা কাজে ফিরে যান। কারখানার শ্রমিক ও শিল্প পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কারখানাটিতে প্রায় ১৪ হাজার শ্রমিক আলাদা আলাদা সেশনে কাজ করেন। এর মধ্যে 'হোমটেক্স ফ্যাশন লিমিটেড' সেশনের প্রায় দুই হাজার শ্রমিক কয়েক দিন ধরেই ইফতারের জন্য মালিকপক্ষের কাছে টাকা চাচ্ছিলেন। কিন্তু মালিকপক্ষ সাড়া দিচ্ছিল না। এ নিয়ে শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেয়। এরই সূত্র ধরে আজ বেলা আড়াইটার দিকে উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ করে কারখানার ভেতরেই বিক্ষোভ শুরু করেন শ্রমিকেরা। পরে মালিকপক্ষের লোকজন তাঁদের দাবি মেনে নিলে শ্রমিকেরা কাজে ফিরে যান। টঙ্গী শিল্প পুলিশের পরিদর্শক মো. আবদুল জলিল প্রথম আলোকে বলেন, মূলত ইফতারের টাকার জন্য কারখানার ভেতরে শ্রমিকেরা জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করছিলেন। কারখানা কর্তৃপক্ষ তাঁদের দাবি মেনে নিলে তাঁরা কাজে ফিরে যান। এ ঘটনায় কোনো ভাঙচুর বা সড়ক অবরোধের ঘটনা ঘটেনি। | শ্রমিক,ইফতার,গাজীপুর,বিক্ষোভ,ঢাকা বিভাগ,কারখানা,টঙ্গী | গাজীপুর জেলার মানচিত্র | national |
https://www.dailynayadiganta.com/turkey/622617/মহানবীর-জীবনী-পড়ে-ইসলাম-গ্রহণ-বুলগেরিয়ার-বৃদ্ধার | মহানবীর জীবনী পড়ে ইসলাম গ্রহণ বুলগেরিয়ার বৃদ্ধার | মহানবী হজরত মোহাম্মদ সা.-এর জীবনী পড়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করলেন স্পাকা ইভানোভা। ৮০ বছরের ওই বৃদ্ধা স্পাকা বুলগেরিয়ার বাসিন্দা। তুরস্কের আনাদোলু এজেন্সি সূত্রে এই খবর সামনে আনা হয়েছে। সেই সূত্রেই স্পাকা ইভানোভার ইসলাম ধর্মের প্রতি ভালোবাসা কথা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। তবে ইসলাম ধর্মের প্রতি আকৃষ্ট হওয়ার পিছনে আছে একটি ইতিহাস। সম্প্রতি তুরস্কের উত্তর পশ্চিম এডরিনে ভ্রমণ যান স্পাকা। এই ভ্রমণের অংশ হিসেবে তিনি প্রদেশটির দারুল ইফতা বিভাগ (ইসলামি উপদেষ্টা পরিষদ) ভ্রমণ করেন। সেখানেই স্পাকা ইসলাম গ্রহণে তার আগ্রহের কথা জানান। স্পাকা ইভানোভার ইসলাম ধর্ম গ্রহণ উপলক্ষে তুরস্কের এডিরন শহরের দারুল ইফতা বিভাগ বুলগেরিয়ান একটি বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির মুফতি আলাউদ্দিন বুজকুরাত ও তার সহকারি জয়নব কায়া। ইসলাম ধর্ম গ্রহণের পর স্পাস্কা ইভানোভা নিজের নাম পরিবর্তন করে হয়েছেন ফাতেমা। অনুষ্ঠানে স্পাস্কা ইভানোভাকে (ফাতেমা) পবিত্র কোরআন উপহার দেয়া হয়েছে। স্পাস্কা ইভানোভা জানিয়েছেন, ইসলাম ধর্মের প্রতি আগ্রহের কারণে দীর্ঘদিন তিনি এই বিষয়ে পড়াশোনা করেছেন। এর পর মহানবী সা.-এর জীবনী পড়েন তিনি। যা তার জীবনকে খুব প্রভাবিত করে। এই পরেই তিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। ফাতেমা সংবাদমাধ্যমকে আরও জানান, ইসলামের শেষ নবী মোহাম্মদ সা.-এর জীবনী গভীর মনোযোগ দিয়ে পড়েন তিনি। যা তার অন্তরে গভীরভাবে রেখাপাত করে।সূত্র : পুবের কলম | null | মহানবীর জীবনী পড়ে ইসলাম গ্রহণ বুলগেরিয়ার বৃদ্ধার | international |
https://www.bd-pratidin.com/national/2019/01/09/390673 | 'সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে নতুন শিল্প কারখান গড়ে তুলতে হবে' | রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেছেন, প্রতি বছর হাজার হাজার ছেলে-মেয়ে উচ্চশিক্ষা নিয়ে বের হচ্ছে। এসব মেধাবী ছেলে-মেয়েদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা খুবই জরুরি। এ জন্য সরকারের পাশাপাশি আপনাদেরও এগিয়ে আসতে হবে। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থাসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে সুবিধা আদায় করতে আমাদের জ্ঞানকৌশল ও দক্ষতা বাড়াতে হবে। এ লক্ষ্যে বিভিন্ন ব্যবসায়ী সমিতি ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের আরও বেশি ফলপ্রসূ অবদান রাখতে হবে। নতুন নতুন উদ্ভাবনের ফলে ব্যবসায়ের ধরণ প্রকৃতি দ্রুত পাল্টাচ্ছে। তাই আপনাদেরও নতুন নতুন ধারণা নিয়ে এগিয়ে আসতে তুলনামূলক সুবিধা ও স্থানীয় সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে নতুন শিল্প কারখান গড়ে তুলতে হবে। তাহলেই কর্মসংস্থান ও উৎপাদনে এগিয়ে যাবে। বুধবার বিকেলে ২৪তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রথমে 'বাংলাদেশ এ ক্যানভাস অব প্রমিজ' নামে গত ১০ বছরের উন্নয়নের ওপর একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মফিজুল ইসলাম। এছাড়া এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মোহাম্মদ শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন বক্তব্য রাখেন। বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন | null | রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ | national |
https://www.ajkerpatrika.com/66683/%E0%A6%87%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%B6-%E0%A6%A7%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%A4-%E0%A6%9C%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A7%87 | ইলিশ ধরতে প্রস্তুত জেলে | আজ (২৫ অক্টোবর) রাত ১২টা থেকে উঠে যাচ্ছে ইলিশ শিকারের ওপর টানা ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা। দীর্ঘ বিরতির পর জাল, নৌকা মেরামত শেষে নদীতে নামার অপেক্ষায় প্রহর গুনছেন শরীয়তপুরের জেলেরা। দীর্ঘ সময় সুনসান নীরবতা শেষে আবার সরব হতে শুরু করেছে শরীয়তপুরে পদ্মা, মেঘনা পাড়ের জেলে পল্লি ও মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রগুলো। প্রজনন মৌসুমে স্বাচ্ছন্দ্যে ইলিশের ডিম ছাড়ার সুযোগ করে দিতে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।জানা যায়, ইলিশের প্রজনন মৌসুম হওয়ায় ৪ অক্টোবর থেকে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা দেয় সরকার। ইলিশ আহরণে নিষেধাজ্ঞার নির্ধারিত সময় ২৫ অক্টোবর রাত ১২টা পর্যন্ত। দীর্ঘ ২২ দিন অলস সময় কাটিয়ে আবার ব্যস্ততা বারতে শুরু করেছে জেলে পল্লিতে। মধ্য রাতেই শরীয়তপুরের জেলেরা জাল আর নৌকা নিয়ে ছুটবেন পদ্মা, মেঘনায়। পরিবার আর পরিজনের সঙ্গে অবসর সময় কাটিয়ে জেলে আর মাঝি মাল্লারা ফিরে এসেছেন আড়তদার আর মহাজনদের মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে। জাল, নৌকার জ্বালানি তেল, বরফ আর নিজেদের প্রয়োজনীয় রসদ নিয়ে পদ্মা-মেঘনায় নৌকা ভাসানোর প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন জেলেরা।জেলা মৎস্য কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, প্রজনন মৌসুমে শরীয়তপুরের জাজিরার নাওডোবা থেকে গোসাইরহাটের নলমুড়ি পর্যন্ত ৭১ কিলোমিটার পদ্মা-মেঘনায় মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। এই ২২ দিন জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ, নৌপুলিশ, র্যাব ও কোস্টগার্ডের সহায়তায় নদীতে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে মৎস্য বিভাগ। এ সময় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নদীতে মাছ শিকারের অপরাধে ৫৫৩ জেলেকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ ছাড়া আটক জেলে, ক্রেতা ও বিক্রেতাদের কাছ থেকে জরিমানা আদায় করা হয়েছে ৯ লাখ ৮৮ হাজার ৪০০ টাকা। নিষেধাজ্ঞার সময়ে ৪৪ লাখ ৩২ হাজার মিটার কারেন্ট জাল ও ২ হাজার ২৩ কেজি মা ইলিশ জব্দ করা হয়। শরীয়তপুরে মোট ৩০ হাজার ১২ জন জেলে রয়েছে। যার মধ্যে নিবন্ধিত জেলের সংখ্যা ২৫ হাজার ৫৮ জন। এর মধ্যে ১৯ হাজার জেলেকে ২০ কেজি করে মোট ৩৮০ টন খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়েছে।গোসাইরহাট উপজেলার ঠান্ডারবাজার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের আড়তদার সুরুজ ফকির বলেন, 'নদী পাড়ের সকল আড়ত বন্ধ থাকায় দীর্ঘ ২২ দিন বেচাকেনা বন্ধ ছিল। ক্রেতা-বিক্রেতাদের আনাগোনা ছিল না। আজ (সোমবার) রাতে নিষেধাজ্ঞা উঠে যাচ্ছে। সব আড়ত ধুয়ে-মুছে প্রস্তুত করা হয়েছে। জেলেরাও আড়তে ফিরে এসেছেন। কাল (মঙ্গলবার) সকাল থেকে আবার ক্রেতা বিক্রেতাদের হাঁকডাকে আমাদের ব্যবস্থা ফিরে আসবে।'নড়িয়া উপজেলার সুরেশ্ব এলাকার জেলে জয়নাল ঘরামী বলেন, '২২ দিন মাটি কাটা শ্রমিকের কাজ করে কোনো রকমের সংসার চালিয়েছি। সরকারের পক্ষ থেকে ২০ কেজি চাল দেওয়া হয়েছে, যা প্রয়োজনের তুলনায় কিছুই না। জাল আর নৌকা মেরামত করতে গিয়ে অনেক টাকা ঋণী হয়েছি। আগামীকাল থেকে নদীতে আশানুরূপ মাছ পাওয়া গেলে হয়তো ঋণের ধকল কাটিয়ে উঠতে পারব।'শরীয়তপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা প্রণব কুমার কর্মকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, 'নিষেধাজ্ঞার শুরু থেকেই জেলেদের বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া জেলার ১৯ হাজার জেলেকে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়েছে। নিষেধাজ্ঞার সময় জেলেরা নদীতে যাওয়া থেকে বিরত থাকায় ডিম ছাড়ার সুযোগ পেয়েছে অধিকাংশ মা ইলিশ। এ বছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে জেলায় ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে।' | শরীয়তপুর সদর,বরিশাল,ছাপা সংস্করণ,বরিশাল সংস্করণ,বরিশাল ৬ | শরীয়তপুরের জেলেরা জাল-নৌকা নিয়ে মাছ ধরার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। গতকাল । | national |
https://www.prothomalo.com/politics/১৬-নয়-গণভবনে-যাচ্ছেন-ঐক্যফ্রন্টের-২১-নেতা | ১৬ নয়, গণভবনে যাচ্ছেন ঐক্যফ্রন্টের ২১ নেতা | ১৬ জনের নয়, গণভবনে যাচ্ছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ২১ জনের প্রতিনিধি দল। আজ বৃহস্পতিবার এই জোট নতুন করে পাঁচ সদস্যের নামের তালিকা আওয়ামী লীগের কাছে পাঠিয়েছে। গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফা মোহসীন মন্টু স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে সংলাপের জন্য সর্বমোট ২১ সদস্যের প্রতিনিধি দলের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। নতুন অন্তর্ভুক্ত হওয়া সদস্যরা হলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মঈন খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, গণফোরামের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোকাব্বির খান, জগলুল হায়দার আফ্রিক ও গণফোরামের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ও ম শফিক উল্লাহ। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাতটায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সংলাপের সময় নির্ধারিত রয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, প্রতিনিধি দলের নতুন এই পাঁচ সদস্যের তালিকার বিষয়টি মোস্তাফা মোহসীন আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপকে জানিয়েছেন। এর আগে সংলাপে অংশ নিতে গত মঙ্গলবার ১৬ জনের প্রতিনিধি দলের নাম ঘোষণা করেছিল জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। ওই ১৬ জন হলেন: গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন, নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফা মহসীন মন্টু, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ, খন্দকার মোশাররফ হোসেন, জমিরউদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব, সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন, সহসভাপতি তানিয়া রব, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, এস এম আকরাম, জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার আ ব ম মোস্তফা আমিন, সুলতান মোহাম্মদ মনসুর ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের জাফরুল্লাহ চৌধুরী। অপরদিকে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে এই সংলাপে ১৪ দলীয় জোট থেকে ২৩ সদস্যের প্রতিনিধি দল যোগ দিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়া অন্যরা হলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, মোহাম্মদ নাসিম, মো. আবদুর রাজ্জাক, কাজী জাফর উল্যাহ, আবদুল মতিন খসরু, রমেশ চন্দ্র সেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, দীপু মনি, আবদুর রহমান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ, আইনবিষয়ক সম্পাদক শ ম রেজাউল করিম, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও জাসদের একাংশের সভাপতি মইন উদ্দীন খান বাদল। | একাদশ সংসদ নির্বাচন,বিএনপি,রাজনীতি,জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট,আওয়ামী লীগ | প্রথম আলো ফাইল ছবি | politics |
https://www.prothomalo.com/world/asia/কাবুল-দখল-প্রেসিডেন্টের-দেশত্যাগ | কাবুল দখল, প্রেসিডেন্টের দেশত্যাগ | তালেবানের নিয়ন্ত্রণে আফগানিস্তান। রাজধানী কাবুলে তালেবান যোদ্ধাদের প্রবেশের পর আতঙ্কিত জনপদে পরিণত হয়েছে পুরো নগরী। আফগানিস্তানে তালেবানের হাতে প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনির সরকারের পতন নিশ্চিত হয়ে গেছে। গতকাল রোববার তালেবান যোদ্ধারা রাজধানী কাবুলে প্রবেশের পর দেশ ছেড়েছেন আশরাফ গনি। দেশটির প্রেসিডেনশিয়াল প্যালেসের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার দাবি করেছে তালেবান বাহিনী। এর আগেই রাজধানীর চারপাশ ঘিরে ফেলে তালেবান বাহিনী। এ পরিস্থিতিতে অন্তর্বর্তী একটি সরকারের হাতে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের আলোচনাও শুরু হয়েছে। তালেবানের পক্ষ থেকেও শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের কথা বলা হয়েছে। তবে তালেবান যোদ্ধাদের আগমনে আতঙ্কের নগরীতে পরিণত হয়েছে কাবুল। সেখান থেকে দূতাবাসকর্মীদের সরিয়ে নিতে শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা। প্রেসিডেনশিয়াল প্যালেস দখলের দাবি তালেবানের দুজন জ্যেষ্ঠ কমান্ডার দাবি করেছেন, কাবুলে প্রেসিডেনশিয়াল প্যালেস দখল করেছেন তাঁরা। কাবুলে অবস্থানরত ওই দুজন কমান্ডার গতকাল বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, এ প্যালেস এখন পুরোপুরি তালেবানের নিয়ন্ত্রণে। যদিও সরকারি কোনো সূত্র থেকে এ দাবির সত্যতা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এদিকে প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি গতকালই কাবুল ছেড়ে তাজিকিস্তানের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে রয়টার্স এ কথা জানিয়েছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, আশরাফ গনি ফেসবুক পোস্টে বলেছেন, কাবুলে রক্তপাত এড়াতে তিনি দেশ ছেড়েছেন। এ বিষয়ে আফগান প্রেসিডেন্ট দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে বলা হয়, নিরাপত্তার খাতিরে তাঁরা প্রেসিডেন্ট কী করছেন বা কোথায় আছেন, সে বিষয়ে কিছু বলতে চান না। আশরাফ গনিকে আফগানিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট হিসেবে উল্লেখ করেছেন আফগান শান্তিপ্রক্রিয়ার অন্যতম আলোচক হাই কাউন্সিল ফর ন্যাশনাল রিকনসিলিয়েশনের চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আবদুল্লাহ। নিজের ফেসবুক পেজে এক ভিডিও পোস্টে তিনি বলেন, 'আফগানিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট দেশ ছেড়েছেন...তিনি জাতিকে ফেলে গেছেন। সৃষ্টিকর্তা তাঁকে জবাবদিহি করবেন।' 'অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের' আলোচনা সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, আফগান সরকার একটি 'অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের' হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করবে বলে শোনা যাচ্ছে। সে বিষয়ে তালেবান ও সরকারের মধ্যে আলোচনাও শুরু হয়েছে। রয়টার্সের খবরে বলা হয়, এ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে দেশটির সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও কূটনীতিক আলী আহমাদ জালালির নাম শোনা যাচ্ছে। তালেবানের মুখপাত্র সুহাইল শাহিন গতকাল ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে বলেছেন, কয়েক দিনের মধ্যেই শান্তিপূর্ণভাবে এ ক্ষমতা হস্তান্তর হবে বলে তাঁরা আশা করছেন। কাবুলের জনগণের জানমাল নিরাপদ থাকবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। নারী অধিকার রক্ষার পাশাপাশি গণমাধ্যমকর্মী ও কূটনীতিকদের স্বাধীনতাও নিশ্চিত করার কথা বলেছেন তালেবান মুখপাত্র। তবে তালেবানের এমন কথায় ভরসা করতে পারছে না কাবুলের জনগণ। দেশ ছাড়তে বিমানবন্দরে ভিড় করছেন হাজারো মানুষ। তালেবান বাহিনী দেশটির অধিকাংশ প্রাদেশিক রাজধানী দখলে নেওয়ার পর গত শনিবার রাতে দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় শহর মাজার-ই-শরিফ দখলে নেয়। এরপর আফগান সরকারের নিয়ন্ত্রণে মাত্র দুটি গুরুত্বপূর্ণ শহর ছিল-রাজধানী কাবুল ও জালালাবাদ। গতকাল সকালে যুদ্ধ ছাড়াই কাবুল থেকে ৮০ মাইল দূরের জালালাবাদের নিয়ন্ত্রণ নেয় তালেবান। এরপর রাজধানীর দিকে এগোতে থাকেন তালেবান যোদ্ধারা। চারদিক থেকে কাবুল ঘিরে ফেলেন তাঁরা। একপর্যায়ে রাজধানীতে ঢুকে পড়েন তাঁরা। কাবুল বিমানবন্দরে গোলাগুলি কাবুল বিমানবন্দরে গোলাগুলির খবর পাওয়া গেছে। মার্কিন দূতাবাসের সূত্রের বরাত দিয়ে এ কথা জানিয়েছে বিবিসি। ওই এলাকায় অবস্থানরত মার্কিনদের নিরাপদ আশ্রয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে দূতাবাসের পক্ষ থেকে। দূতাবাসের কর্মকর্তারা বলছেন, কাবুলের নিরাপত্তা পরিস্থিতি দ্রুত খারাপ হচ্ছে। মার্কিনদের সহায়তা পেতে অনলাইনে নিবন্ধনের আহ্বান জানানো হয়েছে। এদিকে কাবুলের একটি হাসপাতালে বেশ কয়েকজন আহত ব্যক্তিকে নেওয়া হয়েছে। স্থানীয় একটি বেসরকারি সংস্থার বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, ৪০ জনের বেশি ব্যক্তিকে এ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। আতঙ্কে সাধারণ মানুষ কাবুল থেকে বিবিসির একজন সাংবাদিক গতকাল জানান, অধিকাংশ মার্কেট ও দোকানপাট বন্ধ। কেউ কেউ বলছেন, তাঁরা এত বেশি আতঙ্কিত আগে কখনো হননি। অনেক সরকারি দপ্তরও বন্ধ রয়েছে। অনেক সেনা ও পুলিশ সদস্য তল্লাশিচৌকি ফেলে পালিয়ে যাচ্ছেন। কিছু কিছু জায়গা থেকে গুলির শব্দ আসছে। তবে গোলাগুলির কারণ জানা যায়নি। তালেবান কাবুল দখল করেছে বলে অনলাইনে গুজব ছড়ালে আতঙ্ক আরও বাড়ে। কাবুল থেকে পালাতে শুরু করে মানুষ। যে যার মতো করে শহর ছাড়ার চেষ্টা করায় সড়কে গাড়ির দীর্ঘ জট তৈরি হয়। এদিকে বাসিন্দাদের অনেকে টাকা তোলার জন্য ব্যাংকে ভিড় করেন। পরিস্থিতির বর্ণনায় আফগান এমপি ফারজানা কোচাই বিবিসিকে বলেন, 'আমি নিজের ঘরেই আছি। দেখছি মানুষ কীভাবে পালানোর চেষ্টা করছে। আমি জানি না তারা কোথায় যাওয়ার চেষ্টা করছে। এটা হৃদয়বিদারক!' আফগানিস্তানের সঙ্গে তোরখাম সীমান্ত আগেই বন্ধ করে দিয়েছে পাকিস্তান। এর ফলে শুধু কাবুল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়েই দেশটি ছাড়ার সুযোগ রয়েছে। একজন বাসিন্দা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, অনেকে গাড়িতে চাবি ফেলে হেঁটে বিমানবন্দরের পথ ধরছেন। বিবিসি প্রতিনিধি সেকুন্ডার কেরমানি বলেছেন, মানুষ আতঙ্কিত। তাদের আতঙ্ক পরিবারের সদস্য, বিশেষ করে স্ত্রী ও মেয়েদের নিয়ে। মানবিক বিপর্যয়ের শঙ্কা আফগানিস্তানে মানবিক বিপর্যয় ঘটতে পারে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ। সহিংসতার মধ্যে আফগানিস্তানের বিভিন্ন এলাকা থেকে পালিয়ে আসা লোকজন কাবুলের বিভিন্ন পার্ক ও অস্থায়ী ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছে। জাওজান প্রদেশ থেকে আসা একজন এএফপিকে বলেন, এক সপ্তাহ আগে তাঁরা এসেছেন। কিন্তু সরকারের তরফ থেকে তাঁরা কোনো সহযোগিতা পাননি। পার্কের মধ্যে মাথা গোঁজার কোনো আশ্রয় নেই, খাবার নেই, পানি নেই। জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, আফগানিস্তান থেকে যেসব খবর আসছে, তা ভয়ানক ও হৃদয়বিদারক। গত শনিবার জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর বলেছে, মে মাসের শেষ দিক থেকে এখন পর্যন্ত যে আড়াই লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে, তাদের প্রায় ৮০ শতাংশই নারী ও শিশু। কী বলছে যুক্তরাষ্ট্র কাবুল দখল ও আফগান প্রেসিডেন্টের দেশত্যাগের খবরের পর মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন স্বীকার করেন, তালেবানের দেশ দখল তাদের ধারণার চেয়ে দ্রুত হয়েছে। তারপরও আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তের পক্ষে কথা বলেন তিনি। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে ব্লিঙ্কেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সেনা রেখে আফগানিস্তানের স্বাভাবিক পরিস্থিতি নিশ্চিত করার ভাবনা ঠিক নয়। এখন আমেরিকার সব নাগরিককে নিরাপদে দেশে ফিরিয়ে আনার ওপরই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এ উদ্ধার কার্যক্রমে তালেবান কোনো ধরনের প্রতিবন্ধকতা তৈরি করলে চূড়ান্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সতর্ক করেছেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, মধ্য সেপ্টেম্বরের মধ্যে সব সেনা প্রত্যাহারের পরিকল্পনা থেকে সরছেন না তাঁরা। নাম প্রকাশ না করে ওই কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র শুধু তখনই পদক্ষেপ নেবে, যদি তালেবান তাদের দূতাবাসকর্মীদের বাধা দেয়। তাঁর এ বক্তব্য এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বাইডেনের অবস্থানকেই সমর্থন করছে। গত সপ্তাহে যখন তালেবান দ্রুতগতিতে এগোচ্ছিল, তখনো বাইডেন বলেছিলেন, আফগানিস্তান থেকে সৈন্য প্রত্যাহার নিয়ে তাঁর কোনো অনুশোচনা নেই। তিনি বলেছিলেন, আফগানিস্তানকে যেসব প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে, সেগুলো রক্ষা করা হবে। এর মধ্যে রয়েছে আফগান সেনাবাহিনীর বেতন, তাদের খাবার ও সরঞ্জাম সরবরাহ এবং বিমানসহায়তা। তবে যুদ্ধটা তাদের নিজেদের স্বার্থেই করতে হবে। এদিকে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন, আফগানিস্তান যাতে সন্ত্রাসের আঁতুড়ঘর না হয়, সে জন্য পশ্চিমারা সম্মিলিতভাবে কাজ করেছে। পরিস্থিতি কঠিন থেকে কঠিনতর হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। বিবিসির খবরে বলা হয়, আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাজ্যের নাগরিক এবং তাদের সহায়তাকারীদের উদ্ধারেই এখন সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে লন্ডন। বিশ্বের অন্যান্য দেশ তড়িঘড়ি করে নতুন সরকার হিসেবে তালেবানকে স্বীকৃতি দেবে না বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের টুইন টাওয়ারে ভয়াবহ হামলার পর আল-কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেনকে ধরতে আফগানিস্তানে অভিযান চালায় যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন বহুজাতিক বাহিনী। এরপর দুই দশকের বেশি সময় ধরে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন বাহিনী এবং পরে তাদের সহায়তায় গড়ে ওঠা আফগান সামরিক বাহিনীর সঙ্গে তালেবানের যুদ্ধ চলে আসছিল। গত ১ মে আমেরিকান সৈন্য প্রত্যাহার শুরু হওয়ার পর থেকে তাদের অগ্রযাত্রা শুরু হয়। | কাবাডি,তালেবান,আফগানিস্তান | পুরো আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ প্রায় নিশ্চিত করেছে তালেবান বাহিনী। দখল নিয়েছে রাজধানী কাবুলের। অন্য শহরগুলোও নিয়ন্ত্রণে নিতে তালেবান যোদ্ধাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গতকাল লাগমান প্রদেশে। | international |
https://www.prothomalo.com/business/বাণিজ্যমেলা-৬-ফেব্রুয়ারি-পর্যন্ত-বাড়ল | বাণিজ্যমেলা ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ল | ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার (ডিআইটিএফ) সময় আরও দুই দিন বাড়ল। মেলা শেষ হবে ৬ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার।বাণিজ্যসচিব মো. জাফর উদ্দীন আজ সোমবার সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। স্বাভাবিকভাবে মেলা শেষ হওয়ার কথা ছিল গত ৩১ জানুয়ারি। কিন্তু ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে নির্বাচনের কারণে মেলা দুই দিন বন্ধ রাখা হয়। এ ছাড়া আরেক দিন মেলা বন্ধ ছিল। মাঝখানে মেলার সময় তাই ৪ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিল। আজ মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির কাছে ব্যবসায়ীরা সময় বৃদ্ধির অনুরোধ করেন। বাণিজ্যসচিব বলেন, অনুষ্ঠান শেষে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলাপ করে মেলার সময় ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়। | বাণিজ্য মেলা,বাণিজ্য সংবাদ | বাণিজ্যমেলা ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ল | economy |
https://www.prothomalo.com/business/‘বিজনেস-এক্সিলেন্স-অ্যাওয়ার্ড’-দেবে-এইচএসবিসি | 'বিজনেস এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড' দেবে এইচএসবিসি | দেশে প্রথমবারের মতো 'বিজনেস এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড' দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে দ্য হংকং অ্যান্ড সাংহাই ব্যাংকিং করপোরেশন (এইচএসবিসি)। আজ শনিবার সকালে ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।রাজধানীর একটি হোটেলে ওই সংবাদ সম্মেলন হয়। এতে এইচএসবিসি বাংলাদেশের উপপ্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও হোলসেল ব্যাংকিংয়ের প্রধান মো. মাহবুবউর রহমান পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণা দেন। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, মোট সাতটি শ্রেণিতে 'বিজনেস এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড' দেওয়া হবে। এর মধ্যে রপ্তানি খাতেরই তিনটি। প্রথমটি হচ্ছে রপ্তানিতে এক্সিলেন্স (তৈরি পোশাকশিল্প)। যাদের বার্ষিক আয় ৫ কোটি মার্কিন ডলার বা তার বেশি, তাদের মধ্য থেকে এই পুরস্কারের জন্য বাছাই করা হবে। দ্বিতীয়টি রপ্তানিতে এক্সিলেন্স (সাপ্লাই চেইন ও ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ)। যাদের বার্ষিক আয় এক কোটি ডলার বা তার বেশি, তাদের জন্য এই পুরস্কার। আর তৃতীয়টি হচ্ছে রপ্তানিতে এক্সিলেন্স (অসনাতন ও উদীয়মান ক্ষেত্র), যাদের বার্ষিক আয় ৩০ লাখ ডলার বা তার বেশি। অন্য শ্রেণিগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে আমদানি বিকল্প শিল্পে অসামান্য অবদান, যাদের বার্ষিক পণ্যের পরিমাণ এক কোটি ডলার বা তার বেশি। অভ্যন্তরীণ বিনিয়োগে অসামান্য অবদান রাখার জন্য একটি শ্রেণি রয়েছে। বাকি দুটি হচ্ছে, অবকাঠামো এক্সিলেন্স ও বিশেষ অর্জন অ্যাওয়ার্ড (ব্যক্তি, ব্যক্তিবর্গ অথবা প্রতিষ্ঠান)। এইচএসবিসি জানিয়েছে, এই পুরস্কারের প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়ার জন্য কোনো ফি নেই। আবার এইচএসবিসির গ্রাহকও হতে হবে না। মনোনয়ন ফরম জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ৩১ ডিসেম্বর। এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে এইচএসবিসির ওয়েবসাইটে। সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন এইচএসবিসি বাংলাদেশের গ্লোবাল ট্রেড ও রিসিভ্যাবলস ফাইন্যান্স বিভাগের প্রধান মো. শহীদুজ্জামান ও যোগাযোগ বিভাগের প্রধান তালুকদার নোমান আনোয়ার। | বাণিজ্য সংবাদ | 'বিজনেস এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড' দেবে এইচএসবিসি | economy |
https://samakal.com/international/article/1606217768/দানাপানি-ছাড়াই-৭৬-বছর | দানাপানি ছাড়াই ৭৬ বছর! |
সব কেন-র উত্তর হয় না। এইরকমই এক ঘটনার বড় উদাহরণ হচ্ছেন ভারতের গুজরাত রাজ্যের 'মাতাজি'। প্রকৃত নাম প্রহ্লাদ ভাইজানি। দেবী আম্বার শিষ্য এই সাধু ৭৬ বছর ধরে বেঁচে রয়েছেন কিছু না খেয়ে। গল্প মনে হলেও এটাই সত্যি। বহুবার নানারকম পরীক্ষা খুব ভালোভাবে উতরে গিয়েছেন এই 'মাতাজি' তথা সাধু প্রহ্লাদ ভাইজানি।
১৯২৯ সালের ৭ অগাস্ট রাজস্থানে জন্মেছিলেন। মাত্র সাত বছর বয়সেই হিন্দু ধর্মের তিন দেবীর আজ্ঞা অনুসারে তিনি আধ্যাত্মিক শক্তি অর্জনে সাধনায় লিপ্ত হন। তার কথায়, 'জঙ্গলের মাঝ দিয়ে আমাকে একশ থেকে দুইশ কিলোমিটার রাস্তা হাটতে হয়েছে। আমি কখনোই ঘামাই না এবং কোনো ক্ষুধা ও ঘুম বোধ করি না। টানা তিন থেকে বারো ঘণ্টা পর্যন্ত আমি ধ্যান করতে পারি।' এখন ৮৭ বছর বয়সেও দিব্যি রয়েছেন এই সাধু। শরীরে নেই কোনও রোগ।
সাধু প্রহ্লাদের রহস্য উদঘাটনের জন্য তাকে আমেদাবাদের একটি হাসপাতালে নিয়ে যায় ৩০ জনের একটি দল। ১৫ দিন ধরে টানা চব্বিশ ঘণ্টা ক্যামেরার নিচে রাখা হয়েছিল তাকে। সেই একই অবস্থায় বিজ্ঞানীদের নাকের ডগায় একে একে পনেরো দিন কেটে গেল, কিন্তু কোনো খাবার গ্রহণ করলেন না তিনি। এমনকি তিনি প্রস্রাব বা পায়খানাও করেননি একবারের জন্যও। দেবী আম্বার আশীর্বাদ মাথার ওপর থাকার কারণেই এই অসাধ্য সাধন করতে তিনি সক্ষম হয়েছেন বলে দাবি করেন সাধু প্রহ্লাদ ভাইজানি। | প্রহ্লাদ ভাইজানি | প্রহ্লাদ ভাইজানি | international |
https://www.bhorerkagoj.com/2021/05/26/%e0%a6%b8%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%b2%e0%a7%8b%e0%a6%9a%e0%a6%95%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%b0%e0%a7%81%e0%a6%a6%e0%a7%8d%e0%a6%a7%e0%a7%87-%e0%a6%b8%e0%a6%be%e0%a6%b2%e0%a6%ae%e0%a6%be/ | সমালোচকের বিরুদ্ধে সালমানের মামলা | মুক্তির প্রথম দিনই সালমান খানের 'রাধে: ইওর মোস্ট ওয়ান্টেড ভাই' নিয়ে বিরূপভাবে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন সিনেমা সমালোচক কমল রশিদ খান। রিভিউ দিতে গিয়ে ক্যামেরার সামনে ব্যঙ্গাত্মকভাবে কাঁদতে দেখা যায় তাকে। তার সেই ভিডিও দেখেই বিরক্ত হয়েছেন সালমান। তাই কমলের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছেন তিনি। এমনটাই দাবি করেছেন কমল নিজে। এরই মধ্যে নাকি নোটিশ চলে গেছে তার বাড়িতে। আর মামলাটি দায়ের করা হয়েছে মুম্বাইয়ের দায়রা আদালতে। সামাজিক মাধ্যমে বিষয়টি জানিয়ে কমল রশিদ লেখেন, 'প্রিয় সালমান খান, এই মানহানির মামলাই প্রমাণ করে আপনি হতাশ। আমার অনুসারীদের জন্য রিভিউ দিয়েছি। আমাকে আপনার সিনেমার পর্যালোচনা করতে বাধা না দিয়ে আপনার উচিৎ ভালো সিনেমা করা। আমি সত্যের জন্য লড়েই যাবো! ধন্যবাদ এই মামলার জন্য।' আরেক টুইটে তিনি মামলাটি নিয়ে উপহাস করে লেখেন, 'আদালতে মামলাটির শিরোনাম খুব ভালো লাগবে, খান বনাম খান!' এরপর কমল জানান, তার রিভিউর কারণে যেহেতু সালমান খানের সিনেমার ক্ষতি হচ্ছে, তাই ভবিষ্যতে তিনি আর এই অভিনেতার সিনেমার রিভিউ করবেন না। এর আগে 'রাধে'র রিভিউ দিতে গিয়ে তিনি বলেন, 'দুবাইয়ের ভক্স সিনেমায় রাধে দেখলাম। কিন্তু এখনই সিনেমার রিভিউ রেকর্ড করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। আমাকে ওষুধ খেয়ে দুই-তিন ঘণ্টা ঘুমাতে দিন। আশা করি ঘুমানোর পর আমার মাথা ও মন আবার কাজ করা শুরু করবে।' এদিকে, প্রযোজক কামাল রশিদ খান প্রায়ই নানা সিনেমার নেতিবাচক রিভিউ দিয়ে বলিউড তারকাদের অপ্রিয় পাত্রে পরিণত হয়েছেন। তার অনেক মন্তব্য ও কার্যকলাপ 'পাগলামি' বলেও মনে করেন অনেকে। | null | সালমান খান- | entertainment |
https://samakal.com/bangladesh/article/171270/বিকেলে-আর্মি-স্টেডিয়ামে-আনিসুল-হককে-শেষ-শ্রদ্ধা | বিকেলে আর্মি স্টেডিয়ামে আনিসুল হককে শেষ শ্রদ্ধা |
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি)সদ্য প্রয়াতমেয়র আনিসুল হকের প্রতি সর্বস্তরের মানুষের শেষ শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্যশনিবার বিকেল ৩টায় তার মরদেহ ঢাকার আর্মি স্টেডিয়ামে রাখা হবে।আনিসুল হকের পারিবারিক বন্ধু ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব আব্দুন নূর তুষার ফেইসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে এ তথ্য জানান।শনিবার দুপুরে যুক্তরাজ্য থেকে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে (বিজি ০০২) আনিসুল হকের মরদেহ ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়। মেয়রের মরদেহ বিমানবন্দর থেকে সরাসরি তার বনানীর বাসায় নেয়া হয়েছে।বিকেল ৩টা থেকে আর্মি স্টেডিয়ামে সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা অর্পণ শেষে সেখানেই বাদ আসর জানাজার পর বনানী কবরস্থানে আনিসুল হক তার মা ও ছোট সন্তান শারাফের সঙ্গে চিরনিদ্রায় শায়িত হবেন।বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় রাত ১০টা ২৩ মিনিটে যুক্তরাজ্যের লন্ডনের ওয়েলিংটন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আনিসুল হক ইন্তেকাল করেন।শুক্রবার বাদ জুমা লন্ডনের রিজেন্ট পার্ক মসজিদে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। আনিসুল হক দীর্ঘ দুই মাস ধরে মস্তিকের রক্তনালীতে প্রদাহজনিত রোগে ভুগছিলেন।
| আনিসুল হক,মেয়র আনিসুল,সর্বস্তরের শ্রদ্ধা | আনিসুল হক | national |
https://www.ajkerpatrika.com/105597/%E0%A6%A6%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A6%AD-%E0%A6%96%E0%A7%87%E0%A6%9C%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B0%E0%A6%B8-%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A7%9C | দুর্লভ খেজুরের রস, গুড় | দেশের অনেক জায়গার মতো বরিশালের বাবুগঞ্জে কমেছে খেজুরের গাছ। সেই সঙ্গে হারিয়ে যেতে বসেছে, খেজুরের রস ও খেজুরের পাটালি গুড়। একটা সময় শীত এলেই ব্যস্ত হয়ে পড়তেন গাছিরা। কিন্তু এখন গাছিদের তেমন গাছ কাটতে দেখা যাচ্ছে না।বাবুগঞ্জ উপজেলার রহমতপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা মো. রফিকুল ইসলাম, মোতালেব হোসেন, আলমগীর হোসেনসহ বেশ কয়েকজন বলেন, দেশে নিপাহ ভাইরাসের প্রকোপ দেখা দিলে আতঙ্কে অনেকে খেজুরের রস খাওয়া ছেড়ে দেন। সেই সুযোগে ইটভাটা মালিকদের দৌরাত্ম্যে দেদার খেজুরগাছ কেটে বিক্রি করতে থাকেন লোকজন।আগে বিকেল হতেই গাছে গাছে হাঁড়ি বসানো, সকালে রস সংগ্রহ করা, সংগৃহীত রস দিয়ে গুড় তৈরি করা অথবা বাঁকে করে হাঁড়ি ভর্তি রস বাজারে নিয়ে যেতেন গাছিরা। খেজুরের গুড় আর পাটালির ম ম গন্ধ বাতাসে ভেসে বেড়াত। কালের বিবর্তনে হারিয়ে যেতে বসেছে খেজুরগাছ।সরেজমিনে উপজেলার চাঁদপাশা ইউনিয়নের গাজীপুর গ্রামের গাছি মো. পারভেজ মৃধাকে খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহ করার জন্য গাছ কেটে হাঁড়ি পাততে দেখা গেছে। এই গাছি জানান, ইতিমধ্যে গাছ প্রস্তুত করে রস সংগ্রহ করা শুরু করেছেন। এখন পর্যন্ত গাছে রস আসা শুরু হয়নি। তিনি ৩০-৪০টি গাছ কাটেন। একবার গাছ ছাঁটলে তিন-চার দিন রস সংগ্রহ করা যায়।বাবুগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. নাসির উদ্দীন বলেন, খেজুরের গাছ রোপণে লোকজনের মধ্যে তেমন আগ্রহ না থাকায় খেজুরের রস হারিয়ে যাচ্ছে। | বরিশাল জেলা,বরিশাল বিভাগ,বাবুগঞ্জ,বরিশাল,ছাপা সংস্করণ,বরিশাল সংস্করণ,আজকের বরিশাল | গাছ কেটে হাঁড়ি পাতছেন গাজীপুর গ্রামের গাছি মো. পারভেজ মৃধা। | national |
https://www.prothomalo.com/bangladesh/district/মঞ্জু-ও-মনিকে-বাদ-রেখে-খুলনা-মহানগর-বিএনপির-আহ্বায়ক-কমিটি-মিশ্র-প্রতিক্রিয়া | মঞ্জু ও মনিকে বাদ রেখে খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি, মিশ্র প্রতিক্রিয়া | খুলনা মহানগর ও জেলা বিএনপির আংশিক কমিটি ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় বিএনপি। কমিটিতে খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মনিকে বাদ দেওয়া হয়েছে। মহানগর বিএনপির নতুন আহ্বায়ক করা হয়েছে আগের জেলা কমিটির সভাপতি শফিকুল আলমকে এবং জেলার নতুন আহ্বায়ক হয়েছেন আগের সাধারণ সম্পাদক আমির এজাজ খান। আজ বৃহস্পতিবার বিএনপির কেন্দ্রীয় জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ওই তথ্য জানানো হয়। ঘোষিত কমিটিতে তিনজন করে সদস্য রাখা হয়েছে। কমিটি ঘোষণার পর থেকে খুলনা মহানগর ও জেলা বিএনপির নেতা-কর্মীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া শুরু হয়েছে। নজরুল ইসলামের অনুসারীরা নীরব থাকলেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয় রয়েছেন তাঁদের বিরোধীরা। নতুন কমিটিকে অভিনন্দন জানাচ্ছেন তাঁরা। খুলনা মহানগর বিএনপির প্রথম যুগ্ম আহ্বায়ক করা হয়েছে মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও নগর যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলামকে। আর সদস্যসচিব হয়েছেন নগর ছাত্রদল ও যুবদলের সাবেক সভাপতি শফিকুল আলম তুহিন। অন্যদিকে জেলা বিএনপির প্রথম যুগ্ম আহ্বায়ক করা হয়েছে জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সম্পাদক আবু হোসেনকে আর সদস্যসচিব হয়েছেন প্রথম সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুল হাসান। তাঁদের মধ্যে তরিকুল ইসলাম ছাড়া অন্যরা দীর্ঘদিন ধরেই বিএনপির কর্মসূচিতে সক্রিয় আছেন। এদিকে মহানগর বিএনপি থেকে নজরুল ইসলামকে বাদ দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তাঁর অনুসারীরা। তাঁরা কমিটি পুনর্গঠনের দাবি জানিয়েছেন। নতুন ঘোষিত কমিটির বিষয়ে কথা বলার জন্য নজরুল ইসলামের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করেও তা বন্ধ পাওয়া গেছে। তবে তাঁর অনুসারী হিসেবে পরিচিত সদর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আরিফুজ্জামান বলেন, 'আমরা অবাক, বিস্মিত ও হতভম্ব। খুলনায় বিএনপির আন্দোলন-সংগ্রাম, সফলতা-ব্যর্থতা যা হয়েছে, নজরুল ইসলামের হাত ধরেই হয়েছে। এখন দল ও তিনি যা বলবেন, সেভাবে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করব।' কমিটি ঘোষণার পর শফিকুল আলম তুহিন প্রথম আলোকে বলেন, দল যে প্রত্যাশা নিয়ে দায়িত্বে দিয়েছে, তাঁদের এখন চাওয়া সেই প্রত্যাশা পূরণ করা। নেতা-কর্মীদের নিয়ে বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়া হবে। নেতা-কর্মীদের নতুন করে উজ্জ্বীবিত করা হবে। এ ক্ষেত্রে আগের কমিটির সবাইকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। দলে কোনো গ্রুপিং বা দ্বন্দ্ব থাকবে না বলে মনে করেন তিনি। | বিএনপি,খুলনা,রাজনীতি,খুলনা বিভাগ | মঞ্জু ও মনিকে বাদ রেখে খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি, মিশ্র প্রতিক্রিয়া | politics |
https://www.bhorerkagoj.com/2021/11/12/%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%9c%e0%a6%a7%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%80%e0%a6%a4%e0%a7%87-%e0%a6%8f%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%be%e0%a6%ae%e0%a7%8d%e0%a6%ac%e0%a7%81%e0%a6%b2%e0%a7%87%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%b8/ | রাজধানীতে এ্যাম্বুলেন্স থেকে ৩২কেজি গাঁজা উদ্ধার | রাজধানীর রমনা এলাকায় এ্যাম্বুলেন্সে গাঁজা বহনকালে অভিযান চালিয়ে গাঁজাসহ পাঁচজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। খবর ডিএমপি নিউজের। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- মো. রাজু মিয়া, মো. মুরাদ, মো. সজিব মিয়া, মো. সারোয়ার হোসেন ও মো. মুন্না। বৃহস্পতিবার রমনা মডেল থানার ওয়ারলেস মোড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। সহকারী পুলিশ কমিশনার রাজন কুমার সাহা বলেন, গ্রেপ্তারকৃত মাদক ব্যবসায়ীরা এ্যাম্বুলেন্সে করে গাঁজা এনে রাজধানীর ওয়ারলেস মোড় এলাকায় অবস্থান করছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে অবস্থানরত একটি এ্যাম্বুলেন্স তল্লাশি করে ৩২ কেজি গাঁজা উদ্ধারসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় গাঁজা বহন কাজে ব্যবহৃত এ্যাম্বুলেন্সটি জব্দ করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে রমনা মডেল থানায় মামলা হয়েছে বলে জানান তিনি। | এ্যাম্বুলেন্স,গ্রেপ্তার,রাজধানী | গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা | national |
https://www.ajkerpatrika.com/131914/%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A7%8B%E0%A6%A8%E0%A6%BE-%E0%A6%87%E0%A6%89%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%9F%E0%A7%87-%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A6%9C%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%81 | রামেকের করোনা ইউনিটে তিনজনের মৃত্যু | রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ২৪ ঘণ্টায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে আজ বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত সময়ের মধ্যে এই তিনজন মারা যান। হাসপাতালের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।হাসপাতালের সূত্রে জানা যায়, ওই ২৪ ঘণ্টায় করোনা ইউনিটে রাজশাহীর দুজন ও মেহেরপুরের একজন করে রোগী মারা গেছেন। এদের মধ্যে দুজন পুরুষ ও একজন নারী। রাজশাহীর একজন ভুগছিলেন করোনার উপসর্গে। অন্য দুজন করোনায় পজিটিভ ছিলেন। ওই ২৪ ঘণ্টায় করোনা ইউনিটে নতুন ১৪ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। ছাড়পত্রও পেয়েছেন ১৪ জন। আজ বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত করোনা ইউনিটে মোট রোগী ছিলেন ৬৫ জন।এ ছাড়া আগের দিন মঙ্গলবার জেলার ৫২৬টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এতে ২২৩ জনের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট হয়েছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে করোনা সংক্রমণের হার ৪২ দশমিক ৪০ শতাংশ। | করোনা,করোনাভাইরাস,রাজশাহী বিভাগ,রামেক,রাজশাহী সদর,রাজশাহী | রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ২৪ ঘণ্টায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। | national |
https://www.dailynayadiganta.com/politics/426479/নিউজিল্যান্ডার-অফ-দ্য-ইয়ার-সম্মান-পেলেন-সেই-ইংলিশ-খেলোয়াড় | নিউজিল্যান্ডার অফ দ্য ইয়ার সম্মান পেলেন সেই ইংলিশ খেলোয়াড় | বাবা জেরার্ড স্টোকস নিউজিল্যান্ডের হয়ে রাগবি লিগে খেলেছেন নিয়মিত। এরপর কোচিংয়ের কারণে পরিবারকে নিয়ে পাড়ি দিয়েছিলেন ইংল্যান্ড। ১২ বছর বয়সে সেই যে বাবার সঙ্গে বেন স্টোকসের ইংল্যান্ড যাওয়া, এরপর আর জন্মভিটে নিউজিল্যান্ডে ফিরে আসেননি তিনি। বাবা-মা পরবর্তীতে ক্রাইস্টচার্চে ফিরলেও ইংল্যান্ডের নাগরিকত্ব নিয়ে ক্রিকেট শুরু করেন বেন। ফাইনালে নিউজিল্যান্ডজাত সেই বেন স্টোকসের ব্যাট হাতে অদম্য লড়াই বিশ্বক্রিকেটে প্রথমবারের জন্য বিশ্বজয়ের শিরোপা এনে দিয়েছে ইংল্যান্ড ক্রিকেটকে। দেশের প্রথম বিশ্বকাপ জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেওয়ার জন্য 'নাইটহুড' সম্মানে ভূষিত হতে পারেন ইংল্যান্ডের তারকা অল-রাউন্ডার বেন স্টোকস, খবর তেমনটাই। কিন্তু ভিনদেশকে বিশ্বকাপ জেতালেও ভূমিপুত্রকে এখনও ভোলেনি নিউজিল্যান্ড। তাই নাইটহুডের পাশাপাশি উল্লেখযোগ্যভাবে 'নিউজিল্যান্ডার অফ দ্য ইয়ার' সম্মানে মনোনীত হলেন তারকা অল-রাউন্ডার। দেশকে বিশ্বকাপ এনে দিতে না পারলেও 'নিউজিল্যান্ডার অফ দ্য ইয়ার' সম্মানে মনোনীত হয়েছেন সদ্য সমাপ্ত বিশ্বকাপের ম্যান অফ দ্য টুর্নামেন্ট কিউয়ি অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনও। ফাইনালে বেন স্টোকসের অপরাজিত ৮৪ রানে ভর করে নিউজিল্যান্ডের ছুঁড়ে দেয়া ২৪১ রান ছুঁতে সমর্থ হয় ইংল্যান্ড। ম্যাচ টাই হওয়ায় খেলা গড়ায় সুপার ওভারে। সেখানেও দু'দলের রানসংখ্যা সমান থাকায় দুটি ইনিংস মিলিয়ে বাউন্ডারির নিরিখে কাঙ্খিত ট্রফি জেতে ইয়ন মর্গ্যানের ইংল্যান্ড। অর্থাৎ ইংরেজদের বিশ্বজয়ের অন্যতম কান্ডারি ভূমিপুত্র বেন স্টোকসকে 'নিউজিল্যান্ডার অফ দ্য ইয়ার'সম্মানে মনোনীত করে নজিরবিহীন দৃষ্টান্ত স্থাপন করল নিউজিল্যান্ড সরকার। স্টোকস ইংল্যান্ডে থাকলেও ক্রাইস্টচার্চের সাউথ আইল্যান্ড সিটিতে স্টোকসের জন্মভিটেতেই বসবাস করেন তার মা-বাবা। ইংল্যান্ডের বিশ্বজয়ে ছেলের সাফল্যে গর্বিত হলেও মনেপ্রাণে সমর্থন করে গিয়েছেন নিউজিল্যান্ডকে। ইংল্যান্ডের বিশ্বজয়ের পর এমনটাই জানিয়েছিলেন জেরার্ড স্টোকস। 'নিউজিল্যান্ডার অফ দ্য ইয়ার' সম্মানের মুখ্য নির্বাচক ক্যামেরন বেনেটের মতে, 'স্টোকস ব্ল্যাক ক্যাপসদের হয়ে খেলছে না ঠিকই, কিন্তু জন্মসূত্রে সে ক্রাইস্টচার্চের বাসিন্দা। তার মা-বাবা এখনও এখানে বসবাস করেন। তাই নিশ্চিতভাবেই কিউয়িরা তাকে নিজেদের বলে দাবি করতেই পারে।' | null | নিউজিল্যান্ডার অফ দ্য ইয়ার সম্মান পেলেন সেই ইংলিশ খেলোয়াড় | politics |
https://www.dailynayadiganta.com/politics/445148/আরো-অনেক-রাঘব-বোয়াল-ধরা-পড়বেন-কাদের | আরো অনেক রাঘব বোয়াল ধরা পড়বেন : কাদের | আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে চলমান শুদ্ধি অভিযানে আরো অনেক রাঘব বোয়াল ধরা পড়বেন।বৃহষ্পতিবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে সমসাময়িক রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।ওবায়দুল কাদের বলেন, 'সারা বাংলাদেশে অপকর্ম যারা করেছে তাদের তালিকা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আছে। বিগত দিনে যারা গ্রেফতার হয়েছেন তারা কেউ ছোট খাটো অপরাধী নন। অভিযানে আরো অনেক রাঘব বোয়াল ধরা পড়বে।' বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের বিষয়ে বিএনপি নেতারা যেভাবে কথা বলছেন, চিকিৎসকরা তেমন কিছু বলছেন না জানিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, কারাবন্দি খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের বিষয়ে তার দল বিএনপির বক্তব্য ও চিকিৎসকদের বক্তব্য এক নয়। চিকিৎসকদের রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে কোনো কথা বলা হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির প্রতি সবসময়ই আমরা নমনীয়। তবে বিএনপি যদি কঠোর অবস্থানে যায়, পরিস্থিতি বুঝে জবাব দেবে আওয়ামী লীগ। দেশের অন্যতম বড় রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি সরকার প্রধানের সঙ্গে দেখা করতে পারেন, তাদের সমস্যা তুলে ধরে সহযোগিতা চাইতে পারেন। এটাই গণতান্ত্রিক চর্চ্চার একটি অংশ।দুর্নীতি মামলায় কারাবন্দি খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে বিএনপি নেতাদের দাবি-আহ্বানের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে বের করার জন্য বিএনপি আন্দোলনের কথা বললেও এখন পর্যন্ত তারা তা করতে পারেনি। আমি চাই তারা আন্দোলন করুক। আমি বলেছি তারা আন্দোলন করে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করুক। এত বড় একটা দল, খালেদা জিয়ার জন্য রাজপথে কোনো আন্দোলন হলো না। হংকংয়ে গত চার মাস ধরে আন্দোলন হচ্ছে। অথচ খালেদা জিয়ার জন্য এত দিনে এক হাজার লোক একটা মিছিল করলো না। একটা ঝটিকা মিছিলও হলো না। তারাইতো বলেছেন, আন্দোলন করে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করবেন। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলন করতে হবে। আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশকারীদের তালিকা প্রধানমন্ত্রীর কাছে আছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, সারা বাংলাদেশে অপকর্ম যারা করেছে তাদের তালিকা প্রধানমন্ত্রীর কাছে আছে। যার যার এলাকা আছে সেখানে কমিটি গঠনের সময় একটু সতর্ক হতে হবে। যেনো অপকর্মকারীরা আওয়ামী লীগে স্থান না পায়। আওয়ামী লীগকে ঢেলে সাজাতে আগামী নভেম্বরের মধ্যে সাত বছর ধরে মেয়াদ উত্তীর্ণ থাকা যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষক লীগ এবং শ্রমিক লীগের নতুন কমিটি দেওয়ার কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। সূত্র : বাসস | null | আরো অনেক রাঘব বোয়াল ধরা পড়বেন কাদের | politics |
https://www.prothomalo.com/world/india/মোদির-জনপ্রিয়তার-কারণ-সংখ্যালঘু-বিদ্বেষ | মোদির জনপ্রিয়তার কারণ সংখ্যালঘু বিদ্বেষ | ভারতীয় রাজনীতিতে 'মোদি-যুগ' শুরুর ঠিক আগে, ২০১৪ সালের জানুয়ারি মাসে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং বলেছিলেন, 'আমার বিশ্বাস, নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী হলে ভারতের পক্ষে তা হবে বিপর্যয়।' কেন 'বিপর্যয়', মোদি-জমানায় কীভাবে ভারতীয় অর্থনীতি, সমাজ, সংস্কৃতি, মূল্যবোধ, মানসিকতা, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান ও রাষ্ট্রীয় ভাবমূর্তির বদল ঘটেছে, প্রাইস অব দ্য মোদি ইয়ার্স বইয়ে সরকারি-বেসরকারি তথ্য, ভাষ্য ও পরিসংখ্যানের মধ্য দিয়ে তা বিধৃত করেছেন সাংবাদিক, লেখক ও অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ভারতের সাবেক নির্বাহী পরিচালক আকার প্যাটেল। প্রথম আলোর সঙ্গে সাক্ষাৎকারে তিনি অকপট। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন প্রথম আলোর নয়াদিল্লি প্রতিনিধি সৌম্য বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথম আলো: প্রাইস অব দ্য মোদি ইয়ার্স বইটি আপনার চোখে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাত বছরের শাসনের মূল্যায়ন। এখনো ক্ষমতাসীন তিনি। জনপ্রিয়ও। দ্বিতীয় মেয়াদ পূর্তি হতেও বাকি আরও তিন বছর। এই সময়ে এই বই লেখার তাগিদ কী? আকার প্যাটেল: এই সময়ের মধ্যে যত তথ্য-উপাত্ত আহরিত, তা পর্যাপ্ত। এর মধ্য দিয়ে একটা স্পষ্ট ধারণাও সৃষ্টি হয়েছে। মনে হয়েছে, সেই ধারণা প্রকাশযোগ্য। ধারণাটা হলো, ২০১৪ সাল থেকে নেতৃত্বের কারণে ভারত পদে পদে ভুগছে। যেমন অর্থনীতি। ভারতের মোট জাতীয় উৎপাদন (জিডিপি) ২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে নামতে শুরু করেছে। মনে রাখতে হবে, প্রবৃদ্ধির এই অবনমন ঘটতে শুরু করেছে কোভিডের দুই বছর আগে থেকে। সরকারি তথ্যেই তা স্পষ্ট। ২০১৪ সালে যে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ভারতের তুলনায় ৫০ শতাংশ কম ছিল, আজ তারা ভারতকে টপকে গেছে! বাংলাদেশের এই সাফল্য চমকপ্রদ। অভিনন্দনযোগ্য। কিন্তু আমাদের ভাবা দরকার, কেন এমনটা হলো? এই বই অবনমনের সেই কারণগুলো ধরতে চেয়েছে। আমার চোখে আজকের ভারতের প্রধান সমস্যা নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্ব। প্রথম আলো: প্রধানমন্ত্রী মোদির 'ব্যর্থতা'র খতিয়ান দিতে গিয়ে এই বইয়ে আপনি ৫৯টি আন্তর্জাতিক সূচক তুলে ধরেছেন। মাত্র দুটি ক্ষেত্র ছাড়া প্রতিটিতেই ২০১৪ সালের তুলনায় ভারতের অবস্থা খারাপ হয়েছে। এই ব্যর্থতা সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রী মোদি কেন জনপ্রিয় এবং অজেয়? আকার প্যাটেল: আপনি কী কাজ করছেন, আপনার অবদান কতটা, বিশেষ করে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে-এসবের ওপর রাজনৈতিক জনপ্রিয়তা আর নির্ভরশীল নয়। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী কর্মসংস্থান হু হু করে কমেছে। কিন্তু তাতে জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়েনি। ২০১৪ সালে দেশে যত মানুষ চাকরি করতেন, ৫ কোটি কম মানুষ আজ চাকরি করছেন। মোদির শাসনকালে ভারতের শ্রম যোগদানের হার এক-পঞ্চমাংশের বেশি কমেছে। অর্থাৎ ১৫ বছরের বেশি বয়সী যাঁরা কাজ করেন বা খুঁজছেন, তাঁদের হার ৫০ শতাংশ থেকে কমে ৪০ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ায় শ্রম যোগদানের হারের ক্ষেত্রে এটা সর্বনিম্ন। তালেবান শাসন শুরুর আগে আফগানিস্তানও এর চেয়ে ভালো অবস্থায় ছিল। অন্যদিকে 'মহাত্মা গান্ধী জাতীয় গ্রামীণ কর্মসংস্থান গ্যারান্টি প্রকল্প'র ('মনরেগা', যার উদ্দেশ্য গ্রামীণ দরিদ্র পরিবারদের বছরে অন্তত ১০০ দিনের মজুরি নিশ্চিত করা) বহর ২০১৪ সালে যা ছিল, তা বেড়েছে চার গুণ। এসব সরকারি তথ্য। এর মানে, লোকে কাজ চাইছে অথচ কাজ নেই। আরও বিস্ময়ের, 'মেক ইন ইন্ডিয়া' কর্মসূচি শুরু হওয়ার পর দেশের জিডিপিতে উৎপাদন শিল্পের অবদান ১৬ শতাংশ থেকে কমে ১৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছে! অথচ ওই একই সময়ে বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের জিডিপিতে উৎপাদন শিল্পের অবদান বেড়েছে। এর মানে, অবদান কীভাবে বাড়ানো যায়, মোদি তা বুঝতে পারেননি! ব্যর্থতা চূড়ান্ত। কিন্তু তা সত্ত্বেও মোদি জনপ্রিয় সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে বিজেপির মনোভাবের দরুন। ওই মনোভাব রাজনৈতিক দিক থেকে এক বিপুল জনগোষ্ঠীকে আকৃষ্ট করছে। প্রথম আলো: বাজপেয়ী-আদভানির সময়েও রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ (আরএসএস) ছিল বিজেপির প্রধান চালিকা শক্তি। মোদির আমলে সেই ভূমিকা বদলেছে। এখন মোদি মুখ্য, সংঘ গৌণ। সংঘ হয়ে উঠেছে মোদির অনুসরণকারী। এই ধারণা ঠিক হলে কী সেই কারণ? আকার প্যাটেল: আরএসএস এতকাল ধরে যে স্বপ্ন দেখে এসেছে, মোদি তা সাকার করেছেন। মুসলমানদের রাজনৈতিক দিক থেকে পরাস্ত করা, তাদের প্রান্তবাসী করে দেওয়া, আইন ও নীতির বেড়ি পরানো-এই স্বপ্ন আরএসএস দেখেছে। মোদি তা করতে পেরেছেন বলেই তিনি আরএসএসের নয়নের মণি হয়ে উঠেছেন। আজকের ভারতে ২৮ রাজ্যের কোথাও একজন মুসলমান মুখ্যমন্ত্রী নেই। ১৫ রাজ্যে একজনও মুসলমান মন্ত্রী নেই। ১০ রাজ্যে একজন করে মুসলমান মন্ত্রী রয়েছেন, যাঁদের অধিকাংশের দায়িত্ব সংখ্যালঘুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের। লোকসভায় বিজেপির ৩০৩ সদস্যের মধ্যে একজনও মুসলমান নন। ২০১৪ সালে বিজেপির যে ২৮২ জন লোকসভায় জিতেছিলেন তাঁদের একজনও মুসলমান ছিলেন না। বিজেপির এই নির্বাচনী জাতিবিদ্বেষকে হিন্দু সমাজের এক বড় অংশ সমর্থন করছে। অন্য দিকে রাষ্ট্র কী করছে? রাজ্যে রাজ্যে আইন এনে গরুর মাংস খাওয়া নিষিদ্ধ হয়েছে। প্রমাণের দায়ভার বর্তেছে অভিযুক্তের ওপর। এক মুসলমানের ১০ বছর কারাবাস হয়। অভিযোগ, তিনি তাঁর কন্যার বিয়েতে গরুর মাংস খাইয়েছিলেন। পুলিশ প্রমাণ করতে না পারলেও বিচারক শাস্তি দেন এই বলে যে ওটা যে গোমাংস ছিল না, সেই প্রমাণ ওই মুসলমান পিতাকেই দিতে হবে। সেই রায় পরবর্তী সময়ে বদলানো হয় ঠিকই, কিন্তু আইনে এই বৈষম্য ইদানীং ছড়াছড়ি। ২০১৮ সালের পর ৬টি বিজেপিশাসিত রাজ্যে হিন্দু-মুসলমানের বিয়ে নিষিদ্ধ হয়েছে। কোনো প্রাপ্তবয়স্ক নারী যদি আদালতকে জানান তিনি স্বেচ্ছায় ধর্মান্তরিত হয়েছেন, সেই সাক্ষ্যও পর্যাপ্ত ধরা হবে না। পরিবারদের জবরদস্তি না করার প্রমাণ দিতে হবে। এ ধরনের আইন অপ্রয়োজনীয়। বিজেপির 'লাভ জিহাদ' নামক অবাস্তব তত্ত্ব আরএসএস অনুমোদন করছে। প্রথম আলো: আপনি লিখেছেন মোদি 'নির্ণায়ক' ও 'স্বচ্ছ'। স্বচ্ছই যদি হবেন, তা হলে নোট বাতিল বা লকডাউনের মতো সিদ্ধান্ত দল ও সরকারের সবাইকে অন্ধকারে রেখে একা নেন কী করে? আকার প্যাটেল: 'স্বচ্ছ' এই কারণে, উনি কী এবং কী করতে চান, কাউকে লুকোন না। মন্ত্রিসভার কে কী মনে করবেন, তাতে তাঁর কিছু যায় আসে না। সংসদীয় গণতন্ত্রের সম্মিলিত দায়িত্ববোধের ঐতিহ্যকে গুরুত্ব দেন না। কারও সঙ্গে পরামর্শ না করেই তিনি সিদ্ধান্ত নেন। প্রথম আলো: মোদির কূটনীতির ক্ষেত্রে প্রতিবেশীদের নিয়ে আপনি অনেক আলোচনা করেছেন। পাকিস্তান নীতির দোদুল্যমানতার উদাহরণ দিয়েছেন। প্রতিবেশীদের সঙ্গে সম্পর্কহানির জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদিকে দায়ী করেছেন। বিশেষ করে নেপাল ও বাংলাদেশের উল্লেখ করেছেন। আকার প্যাটেল: দৃশ্যত সুসংহত প্রতিবেশী নীতি ভারতের পররাষ্ট্রনীতির মূল। কিন্তু সমস্যা সৃষ্টি করেছে হিন্দুত্ববাদের ঘৃণা ও মুসলমান ভীতি। অনেক দিন ধরেই ভারত ধরে নিয়েছে, পাকিস্তানের দিক থেকে আসা সন্ত্রাসবাদই রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার প্রাথমিক বিপদ। সেই কারণে প্রতিবেশী আমাদের সঙ্গে যা করছে, আমাদেরও তা-ই করা উচিত। এটাই হয়ে দাঁড়িয়েছে মুখ্য নীতি, যা তথাকথিত 'ডোভাল ডকট্রিন' (জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল)। বছরের পর বছর ধরে ভারত তাই কাশ্মীরি সন্ত্রাসবাদকে আমল দিচ্ছে। এর ফলে লাদাখে চীনের দিক থেকে আসা বিপদ বুঝতে পারেনি। আজ সর্বত্র একটা আশঙ্কার বাতাবরণ বিরাজমান। কারণ, ভারতের কোনো কৌশলই নেই। মোদি এবং তাঁর সরকার রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার একটা তত্ত্বগত কাঠামো তৈরিতে ব্যর্থ হয়েছে। সেই ফাঁকে চীন ঢুকে পড়ছে। ভারত চায় না তার আঙিনা ও ছত্রচ্ছায়া পেরিয়ে চীনের দিকে বাংলাদেশ ঝুঁকে পড়ুক। কিন্তু তা সম্ভব হচ্ছে না যেহেতু বাংলাদেশের নাগরিকত্ব নিয়ে বিজেপির এক সহজাত অবজ্ঞা রয়েছে। নেপালের ক্ষেত্রে ভারত তাদের সাংবিধানিক পদ্ধতিতে নাক গলিয়েছিল। ২০১৫ সালের অবরোধ তারই ফল। সেই অবরোধ নেপালিদের ক্রোধ উদ্রেককারী। প্রথম আলো: বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক 'সোনালি অধ্যায়'। ব্যবসা-বাণিজ্য যোগাযোগের ক্ষেত্র উন্মোচিত হচ্ছে। অন্যত্র সেই প্রতিবিম্ব কতটা? আকার প্যাটেল: মানুষে মানুষে যোগাযোগ এখনো ক্ষীণ। এই যোগাযোগ যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য অথবা যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার মতো নয়। দুর্বল। মোদির আমলে ভারতে মুসলমানদের সঙ্গে কী ঘটছে, কারও অজানা নয়। গোটা পৃথিবী জানে। বিজেপির শীর্ষস্থানীয় নেতারা বাংলাদেশ সম্পর্কে যে ভাষা ব্যবহার করেন, তা ক্ষতিকারক। পাশাপাশি ২০১৪ থেকে ভারতের অর্থনৈতিক শক্তি কমেছে। চীনের দিকে বাংলাদেশের ঝুঁকে পড়ার সেটাও একটা কারণ। ঝুঁকবেও। তাদের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যের পরিমাণ ভারতের দ্বিগুণ। প্রথম আলো: বইয়ে আপনি সিএএ এবং এনআরসির প্রভাব নিয়ে অনেক কিছু লিখেছেন। বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের ক্ষেত্রে তা ক্ষতিকর হয়ে থাকলে কীভাবে পরিস্থিতির উন্নতি হবে? আকার প্যাটেল: প্রধানমন্ত্রী মোদি বা বিজেপির দ্বারা উন্নতি সম্ভব নয়। কারণ, মুসলমান বিদ্বেষ জন্মগতভাবে তাদের জিনে রয়েছে। এটাই তাদের দর্শনগত প্রাথমিকতা, যা বদলানোর নয়। এর ফলে বাংলাদেশের দিকে ভারত যতই হাত বাড়াক, তা কৃত্রিম হবে। সম্পর্কের প্রাথমিক সমস্যা তাতে কাটবে না। সম্পর্কটা লেনদেনভিত্তিকই থেকে যাবে, সভ্যতামূলক হবে না। ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দুবার বাংলাদেশিদের উইপোকা বলেছেন। প্রথমবার ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে। তখন তৎকালীন মন্ত্রী হাসানুল হক ইনু তার নিন্দা করেছিলেন। দ্বিতীয়বার ২০১৯ সালে সিএএ পাস করানোর আগে। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নজর তা এড়ায়নি। সিএএ পাস হওয়ার পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ভারত সফর বাতিল করেছিলেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরকে কেন্দ্র করে যত বিক্ষোভ হয়েছে, তার মধ্য দিয়েই বোঝা যায় সাধারণ বাংলাদেশির মনোভাব কেমন এবং মোদি-যুগে ভারতে কী চলছে। প্রথম আলো: আপনি মনে করেন, চীনের দিকে বাংলাদেশের ঝোঁকার বিষয়ে ভারত সন্দিহান। সন্দেহমুক্ত হতে ভারতের কী করণীয়? আকার প্যাটেল: নিজের সীমান্তে চীনের প্রভাব ঠেকানোর ক্ষমতা ভারতের নেই। প্রতিবেশীদের ক্ষেত্রে তা ঠেকানো পরের কথা। ভারতের তুলনায় চীনের জিডিপি ছয় গুণ বেশি। তিস্তা নিয়েও কেন্দ্রীয় সরকারের খুব একটা করার কিছু নেই। কারণ, সেখানে পশ্চিমবঙ্গ রয়েছে। এটা সরকারের বড় সমস্যা, যা মনমোহন সিং মেটাতে পারেননি, নরেন্দ্র মোদিও নন। প্রথম আলো: উত্তর প্রদেশের ফল যা-ই হোক, ২০২৪ সালে মোদিকে ভোটে লড়তে হবে। আপনার চোখে এই 'পাহাড় প্রমাণ ব্যর্থতার' পর মোদি আবার সরকার গড়লে ভারতের হাল কী রকম হবে? আকার প্যাটেল: একই রকম থাকবে। অর্থনীতি বিপর্যস্ত। অতীতের প্রবৃদ্ধি অর্জন সম্ভব নয়। বিশ্রী ধরনের বেকারত্ব এবং উৎপাদন হ্রাস অব্যাহত থাকবে। আইন ও নীতির সাহায্যে সংখ্যালঘু নিপীড়ন, বিশেষত মুসলমানদের, বাড়বে। কারণ, সেটা এখন সমাজের হাতে উঠে এসেছে। ভারতীয় গণতন্ত্র একটা ইতিবাচক শক্তি হিসেবে সভ্য সমাজে পরিগণিত হতো। সেই বহুত্ববাদী চরিত্রের স্খলন আগামী এক দশকে রোখা কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। প্রতিবেশীদের ওপর প্রভাব কমবে। দক্ষিণ এশিয়ায় চীনের প্রভাব প্রতিহত করাও কঠিন হবে। প্রথম আলো: তা হলে এই মোদি-যুগে ভারত কী অর্জন করল, আর কীই-বা হারাল? আকার প্যাটেল: অর্থনীতিতে ভারত তার গতিপথ হারিয়েছে। সবটাই যে মোদির জন্য নয়, সে তর্ক করাই যায়। কিন্তু তর্কাতীতভাবে সত্য যে তিনি অবস্থা আরও খারাপ করেছেন। সবচেয়ে বড় কথা, মোদি সমস্যাটাই স্বীকার করতে চান না। ফলে শোধরানোর সম্ভাবনা ক্ষীণ। সামাজিক ক্ষেত্রের ক্ষতিও ভয়াবহ। ভারত বিভক্তই থাকবে। ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের প্রতি দৃষ্টি থাকবে নেতিবাচক। ধর্মনিরপেক্ষ, বহুত্ববাদী ও আধুনিক দেশ হিসেবে ভারতের পরিচয় নষ্ট হয়ে গেছে। নরেন্দ্র মোদি এই দেশে এক জাতিগত জাতীয়তাবাদের (এথনো ন্যাশনালিজম) জন্ম দিয়েছেন, যার লক্ষ্য অভ্যন্তরীণ ভারতীয়রা। প্রথম আলো: বিজেপি ক্ষমতাচ্যুত হলে মোদি মতবাদ কি শেষ হয়ে যাবে? আকার প্যাটেল: হ্যাঁ। কারণ, মোদি মতবাদ প্রকৃত কোনো মতবাদই নয়। কিন্তু মোদি-যুগ দ্রুত শেষ হলেও উচ্চ আয়বিশিষ্ট দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাওয়ার জন্য যে সময় প্রয়োজন, তা পর্যাপ্ত নয়। সমাজের যা ক্ষতি হয়েছে, তা প্রজন্মব্যাপী হবে কারণ, রাষ্ট্র হিন্দুত্ববাদী জনতার ক্ষমতায়নে সাহায্য করেছে। প্রথম আলো: এই বইয়ের শেষে আপনার প্রশ্ন, হিন্দুত্ববাদের ভালোটা কী? কেনই বা হিন্দুত্বকে বরণ করতে হবে? এটাই কি তবে ভবিতব্য? আকার প্যাটেল: না। ভাগ্যের ওপর ছেড়ে না দিয়ে প্রত্যেকের উচিত একে প্রতিহত করা। প্রথম আলো: আপনাকে ধন্যবাদ। আকার প্যাটেল: আপনাকেও। | বিশেষ সংবাদ,ভারত,সাক্ষাৎকার,সংখ্যালঘু,বিশেষ সাক্ষাৎকার,নরেন্দ্র মোদি | আকার প্যাটেল | international |
https://www.ajkerpatrika.com/69663/%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%95-%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A7%80%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%B6%E0%A7%87-%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%80%E0%A6%A3%E0%A6%AB%E0%A7%8B%E0%A6%A8 | সাবেক কর্মীদের পাশে গ্রামীণফোন | সাবেক কর্মীদের স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠান 'ডি টোয়েন্টিফোর লজিস্টিকস লিমিটেডের' সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে গ্রামীণফোন। প্রাথমিকভাবে গ্রামীণফোনের জন্য ডেলিভারি ম্যানেজমেন্ট, নির্দিষ্ট ইনভেনটরি, আর্কাইভিং ও ডিসপোজাল ম্যানেজমেন্ট নিয়ে কাজ করবে ডি টোয়েন্টিফোর লজিস্টিকস।গত মঙ্গলবার রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার জিপি হাউসে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। | গ্রামীণফোন,ছাপা সংস্করণ,আজকের বাণিজ্য | সাবেক কর্মীদের পাশে গ্রামীণফোন | national |
https://samakal.com/whole-country/article/200419022/সংবাদে-বগুড়ায়-খাবার-পেল-দরিদ্র-শত-পরিবার | সমকালের সংবাদে বগুড়ায় খাবার পেল দরিদ্র শত পরিবার | 'অনাহারে আছি, খাবার চাই'- কাগজে এই কথা লিখে খাবার চেয়ে পথে দাঁড়ানো বগুড়ার মোজামনগরের শতাধিক নারী-পুরুষকে বগুড়া চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (বিসিসিআই) পক্ষ থেকে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়েছে। বিসিআইয়ের সহ-সভাপতি মাহফুজুল ইসলাম রাজ রোববার রাতে ওই এলাকার নিম্নআয়ের ১০০ পরিবারকে উপজেলা পরিষদ চত্বরে ডেকে এনে ত্রাণসামগ্রী দিয়েছে। পরে বগুড়া সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আবু সুফিয়ান শফিক আরও ৪০ জনকে খাদ্য সহায়তা দেন। বগুড়া শহর থেকে প্রায় ৪ কিলোমিটার দূরে সদর উপজেলা পরিষদ ভবনের পাশের এলাকা মোজামনগর। ওই এলাকার শতাধিক নারী-পুরুষ খাদ্য সহায়তা চেয়ে গত ১১ এপ্রিল বেলা সাড়ে ১১টায় রাস্তার পাশে দাঁড়ান। এ সময় তাদের অনেকের হাতে থাকা কাগজে লেখা ছিল 'আমরা অনাহারে আছি', 'আমরা খাবার চাই' ইত্যাদি। ওইদিন বেলা সাড়ে ১১টা থেকে সমবেত হতে শুরু করেন তারা। খবর পেয়ে দুপুর ১২টার দিকে বগুড়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আজিজুর রহমান সেখানে গিয়ে খাদ্য সহায়তার আশ্বাস দিলে তারা ফিরে যান। 'অনাহারে আছি, খাবার চাই' শিরোনামে খবরটি ওইদিন সমকালের অনলাইন সংস্করণে এবং পরদিন মুদ্রিত পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। বগুড়া পৌরসভার ১৭ নং ওয়ার্ডের ওই মহল্লায় গিয়ে জানা যায়, সেখানে প্রায় ৩০০ বাড়ি রয়েছে। যাদের অধিকাংশ লোকই রিকশাচালক বা দিনমজুর। তাদের অভিযোগ, স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর মেজবাউল হামিদ প্রায় ১০দিন আগে তাদের নাম তালিকাভুক্ত করলেও কোনো সহায়তা মেলেনি। এমনকি আশপাশের অনেক এলাকার লোক কিছু খাদ্যসামগ্রী পেলেও তাদের ভাগ্যে কিছুই জোটেনি। বগুড়া চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সহ-সভাপতি মাহফুজুল ইসলাম রাজ জানান, সমকালে প্রকাশিত খবরটি আমাদের নজরে আসে। পরে চেম্বারের সভাপতি মাসুদুর রহমান মিলনের নির্দেশে আমরা ৫ কেজি চাল, ২ কেজি আলু, ১ কেজি মসুর ডাল এবং নগদ ১০০ টাকা করে মোট একশ' পরিবারের মাঝে বিতরণের সিদ্ধান্ত নিই। রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে আমরা তাদের বগুড়া সদর উপজেলা পরিষদ চত্বরে ডেকে নিই। পরে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আজিজুর রহমান ও উপজেলা চেয়ারম্যান আবু সুফিয়ান শফিকের উপস্থিতিতে সেগুলো বিতরণ করা হয়। বগুড়া সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আবু সুফিয়ান শফিক জানান, তিনি সেখানে আরও ৪০ পরিবারের মাঝে খাদ্য সহায়তা দিয়েছেন। | সমকালের সংবাদ,ত্রাণ বিতরণ,বগুড়া,বগুড়া চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি | রোববার রাতে বগুড়ার মোজামনগর এলাকার ১০০ পরিবারকে ত্রাণসামগ্রী দেয় বিসিসিআই। : | national |
https://www.bhorerkagoj.com/2019/10/30/%e0%a6%8f%e0%a6%87-%e0%a6%a8%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a7%80%e0%a6%b0-%e0%a6%9c%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%af-%e0%a6%b8%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a6%be-%e0%a6%ac%e0%a6%9b%e0%a6%b0%e0%a6%87-%e0%a6%b9%e0%a7%8d/ | দেহ চিত্রশিল্পী এলির জন্য সারাবছরই 'হ্যালোইন' | সারা বিশ্ব জুড়ে এখন হ্যালোইনের আয়োজন চলছে। অনেকে তাদের পোশাকের অর্ডার দিচ্ছে, অনেকেই বা বার্ষিক ছুটির জন্য প্রস্তুত হচ্ছে। তবে কিছু নারীর ক্ষেত্রে, বছরে শুধু একবার নয় বরং সারা বছরই তাদের হ্যালোইন উৎযাপন চলে। কারণ এটা তাদের কাজ। ২১ বছরের এলি, এডিনবার্গের একজন পেশাদার দেহ চিত্রশিল্পী এবং সোশ্যাল মিডিয়া তারকা। তিনি বলেন, হ্যালোইন আমার কাছে বছরের অন্যতম প্রিয় সময়। এই সময় সবাই নিজেকে মেকআপের আবরণে সাজিয়ে তুলতে উদগ্রীব হয়ে ওঠে। ইনস্টাগ্রামে এলি একজন বিউটি প্রভাবক হিসাবে খ্যাতি পেয়েছেন। যেখানে তিনি এমন একটি আকর্ষনীয় চেহারা তৈরি করে ছবি পোস্ট করেন যা সৌন্দর্য এবং হররের মধ্যকার রেখাটি অস্পষ্ট করে তোলে। এলির অ্যাকাউন্টটি সারা বছর ধরে তিনি তার হ্যালোইন চেহারা পোস্ট করার জন্য ব্যবহার করেন। তিনি বলেন, আমি বরাবরই শৈল্পিক চরিত্রের। আমি স্কুলে শিল্প ও অভিনয় নিয়ে পড়াশোনা করেছি এবং এক হ্যালোইনে আমি নিজের উপর এগুলো অনুশীলন করি। অনেকেই হ্যালোইন ডিস্কোতে বেশ সুন্দরভাবে সেজে যাচ্ছিল, তবে আমি একটি ভয়ঙ্কর আঁতকে ওঠা ক্লাউন হিসাবে সেজে উপস্থিত হই। যা কিনা প্রত্যেকের কাছেই দুর্দান্ত মনে হয়েছিল। ইনস্টাগ্রামে ব্র্যান্ডের সাথে কাজ করার পাশাপাশি, এলি ফ্রিল্যান্স বডি পেইন্টার হিসাবেও কাজ করেন। তিনি বাড়িতে গিয়ে এবং বিভিন্ন ইভেন্টে মেকআপ দিয়ে মানুষকে বিভিন্ন হরর চরিত্রে রূপান্তরিত করেন। এলি বলেন, প্রায়ই অনেকে অনলাইনে বা ফিল্মে দেখে তেমন একটি চরিত্রের সাজ দেয়ার জন্য যোগাযোগ করেন। তবে শেষ পর্যন্ত তারা তাদের নিজস্ব চরিত্রগুলোকেই উপভোগ করে। সিনেমা সবসময়ই মানুষের অনুপ্রেরণার একটি ভাল উৎস। ইট এর পেনিওয়াইস এবং ম্যালিফিসেন্ট এই বছর খুবই জনপ্রিয়, যদিও অনেকে ভিন্নতা পছন্দ করেন। অন্য দিন আমাকে শ্রেকের একটি সুন্দর সংস্করণও করতে বলা হয়েছিল। তিনি বলেন, অনলাইনে আমেরিকান প্রভাবশালীদের কারণে হ্যালোইন সম্পর্কে ব্রিটিশদের আগ্রহ বাড়ছে। অনলাইনে দেখার কারণে তারা হ্যালোইনকে ঘিরে আরও নতুন কিছু চায়। তারা এটিকে সাহসী হয়ে ওঠার এবং নিজেকে রূপান্তরিত করার একটি সুযোগ হিসাবে দেখে। দিনদিন মেকআপ এতটাই বিকশিত হচ্ছে। প্রত্যেকেই অনলাইনে দেখে হ্যালোইনকে ঘিরে আরও মজা করছে। এলি বুঝতে পারেন যে আশ্চর্যজনকভাবে ব্র্যান্ডের ডিল এবং তার কাজের ক্ষেত্রে বডি পেইন্টার হিসাবে হ্যালোইন তার জন্য ব্যস্ত সময়। তিনি বলেন, আমার কাজের স্টাইলের কারণে প্রচুর সংস্থা কেবলমাত্র আমাকে হ্যালোইন এ লক্ষ্য করে। আমি এই কাজ করতে পছন্দ করি এবং আমি আনন্দিত। | হ্যালোইন | ইনস্টাগ্রামে এলির একাউন্ট থেকে | international |
https://www.prothomalo.com/business/economics/অনলাইনের-জন্য-মদ-বেচে-সম্পূরক-শুল্ক-দেয়নি-নারায়ণগঞ্জ-ক্লাব | মদ বেচে সম্পূরক শুল্ক দেয়নি নারায়ণগঞ্জ ক্লাব | নিজেদের বারে মদ বিক্রি করে কোনো সম্পূরক শুল্ক দেয়নি নারায়ণগঞ্জ ক্লাব। এ ছাড়া বিভিন্ন সেবার বিপরীতে সাড়ে সাত কোটি টাকার ভ্যাট ফাঁকি দিয়েছে ক্লাবটি। আজ বৃহস্পতিবার ভ্যাটের টাকা পরিশোধের জন্য ১৫ দিন সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদপ্তরের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়েছে। ভ্যাট গোয়েন্দা কর্তৃপক্ষের এক মামলার পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা দক্ষিণ ভ্যাট কমিশনারেট আজ নারায়ণগঞ্জ ক্লাবকে ভ্যাট পরিশোধের নোটিশ দিয়েছে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ভ্যাট গোয়েন্দা কর্তৃপক্ষ দুই বছর আগে এই অভিজাত ক্লাবের বিরুদ্ধে ২০১১-১২ থেকে ২০১৪-১৫ পর্যন্ত ৪ বছরের হিসাব তদন্ত করে ৩ কোটি ৭৫ লাখ টাকার ভ্যাট ফাঁকির বিষয়টি উদঘাটন করে। যথাসময়ে ভ্যাট পরিশোধ না করায় আরও ৩ কোটি ৮২ লাখ টাকার সুদ আরোপ করা হয়। ভ্যাট গোয়েন্দা তদন্ত প্রতিবেদনটি নিষ্পত্তির জন্য ঢাকা দক্ষিণ ভ্যাট কমিশনারের কাছে পাঠিয়েছিল। দীর্ঘ শুনানি ও মামলা সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র পর্যালোচনা করে ভ্যাট গোয়েন্দার দায়ের করা মামলায় ভ্যাট ফাঁকির পরিমাণ বহাল রাখা হয়। নারায়ণগঞ্জ ক্লাব লিমিটেড ৯৫, বঙ্গবন্ধু রোড, নারায়ণগঞ্জে অবস্থিত। ভ্যাট ফাঁকির সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকায় ভ্যাট গোয়েন্দা আয়কর অফিস ও অন্যান্য সূত্র হতে প্রতিষ্ঠানের দাখিলকৃত বার্ষিক সিএ রিপোর্ট ও অন্য কাগজপত্র সংগ্রহ করে। ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মইনুল খান প্রথম আলোকে বলেন, হিসাবটি দুই বছর আগে করা হয়েছে। এখন সুদসহ ভ্যাটের পরিমাণ আরও বাড়বে। তিনি আরও বলেন, 'প্রতিষ্ঠানটি মদ বিক্রি করে কোনো সম্পূরক শুল্ক দেয়নি। আমরা মদ বিক্রির তথ্য-উপাত্ত বের করে ফাঁকি দেওয়া ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্কের পরিমাণ নির্ধারণ করেছি।' তদন্ত অনুসারে, বারে মদ-জাতীয় পণ্য সরবরাহের বিপরীতে সম্পূরক শুল্ক বাবদ কোনো টাকা পরিশোধ করেনি ক্লাবটি। আর আরোপিত ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্কের পরিমাণ ছিল ৪ লাখ ১৭ হাজার ৪৪৭ টাকা। তা-ও দেয়নি ক্লাব কর্তৃপক্ষ। ২ শতাংশ সুদ হিসাবে আরও ৪ লাখ ৬৫ হাজার ৭২৮ টাকা আরোপ হয়েছে। | অর্থনীতি,এনবিআর,ভ্যাট | ভ্যাট গোয়েন্দা দলের অভিযান। | economy |
https://www.bd-pratidin.com/corporate-corner/2019/12/27/486948 | গ্রাহকদের সার্ভিসের ক্ষেত্রে 'সারা' কখনই আপোষ করে না | দেশের পোশাকশিল্পের নিজস্ব ব্র্যান্ড 'সারা' লাইফস্টাইল লিমিটেড। এটি রপ্তানিমুখী পোশাকশিল্পের সঙ্গে জড়িত স্নোটেক্স গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান। ইতোমধ্যে রাজধানীর মিরপুর, বসুন্ধরা সিটি, মোহাম্মদপু ও উত্তরাতে 'সারা'র আউটলেট চালু হয়েছে। বিশ্ববাজারেও প্রতিষ্ঠিত হতে চায় 'সারা' লাইফস্টাইল লিমিটেড। 'সারা' লাইফস্টাইল লিমিটেডের বেশ কিছু দিক নিয়ে বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে কথা বলেছেন প্রতিষ্ঠানটির সহকারী ব্যবস্থাপক (অপারেশন) প্রিয়ম ইবনে আমিন। বর্তমানে সারা লাইফস্টাইল লিমিটেড'র ৪টি আউটলেট আছে। পঞ্চমটি চালু হবে আসন্ন জানুয়ারী মাসে বারিধারাতে। এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রিটেইল স্টোর হতে চলেছে। ১০-১১ তলা ভবনের পুরোটাই সারা'র রিটেইল স্টোর হবে। এরপর রাজধানীর ঢাকার অন্যান্য জায়গা যেমন- এলিফ্যান্ট রোড, ওয়ারিসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে আউটলেট দিতে পারে সারা। ঢাকায় ১০-১৫টি আউটলেট দেওয়ার পর ঢাকার বাইরে আউটলেট দিতে চায় সারা। পোশাকের গুণগত মান ধরে রাখতে কিভাবে কাজ করে 'সারা'? পোশাকের গুণগত মান ধরে রাখার জন্য সারা লাইফস্টাইল লিমিটেড'র কোয়ালিটি টিম ও প্রোডাকশন স্টাফ আছে। তারাই এ নিয়ে কাজ করছে। কোয়ালিটি টিমে ও প্রোডাকশন স্টাফ হিসেবে যারা কাজ করছেন তারা দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন। তাদের এই অভিজ্ঞতা আর কার্যদক্ষতা কাজে লাগিয়ে সারা লাইফস্টাইল লিমিটেড তাদের পোশাকের গুণগত প্রথম থেকেই ধরে রেখেছে আর পরবর্তীতেও রাখবে। সারা লাইফস্টাইল লিমিটেড যোগদানের কারণ ? সারা লাইফস্টাইল লিমিটেড'র বয়স প্রায় ২ বছর। এর আগে আমি স্নোটেক্স গ্রুপে দীর্ঘ ৯ বছর কাজ করেছি। তারপর সারাতে চলে আসা হয়। মূলত নিজের ভালোলাগা থেকেই সারা'তে চলে আসা। একটা চ্যালেঞ্জ নিয়ে আর নিজেকে আরও প্রমাণ করার ও অনেক কিছু দেখানোর জন্য সারা'তে আসার পেছনের কারণ। ব্র্যান্ড হিসেবে কতটা সফল হতে পেরেছে "সারা'? আমি বিশ্বাস করি সারা লাইফস্টাইল লিমিটেড ব্র্যান্ড হিসেবে বাংলাদেশে ভালো করবে। আমাদের প্রথম চ্যালেঞ্জ ছিল আউটলেট নির্বাচন ও গ্রাহকদের কাছে যাওয়া, সেক্ষেত্রে আমরা এখন পর্যন্ত বেশ ভালভাবে সফল। আর পোশাকের ক্ষেত্রে আগে আমরা নিজেরা ট্রায়াল দেই, ধোয়ার পর কোনও পরিবর্তন হয় কিনা সেটা পরিদর্শনের পর আউটলেটে লঞ্জ হয়। আউটলেটে গ্রাহকদের কী ধরণের সুবিধা দিচ্ছে সারা লাইফস্টাইল লিমিটেড?
সারা লাইফস্টাইল লিমিটেড'র অন্যতম আকর্ষণ হলো জ্যাকেট। গত শীতে ব্লেজার লঞ্জ করা হয়েছিল এবং ভালো বিক্রি হয়েছে। কম মূল্যে ভালো পোশাক দিচ্ছে সারা। এ বাদেও সারা লাইফস্টাইল লিমিটেড বড় ভিত্তি তাদের সার্ভিস। সার্ভিসের ক্ষেত্রে সারা কখনই আপোষ করবে না। সারা লাইফস্টাইল লিমিটেড'র প্রত্যেক আউটলেটে গ্রাহকদের জন্য কমপ্লেইন বক্স রাখা হয়েছে। কমপ্লেইন পেলে আমরা সে অনুযায়ী কাজ করি। প্রোডাক্ট ব্র্যান্ডিংয়ের ক্ষেত্রে মিডিয়ার ভূমিকা কেমন বলে মনে করেন? প্রোডাক্ট ব্র্যান্ডিংয়ের ক্ষেত্রে অবশ্যই মিডিয়াকে সাথে নিয়ে এগুতে হবে। কারণ প্রচারেই প্রসার বাড়ে। তাই ব্র্যান্ডিংয়ের জন্য মিডিয়াকে পাশে পাওয়া দরকার আর মিডিয়ার মাধ্যমেই যাওয়া উচিত। বিডি-প্রতিদিন/ সিফাত আব্দুল্লাহ | null | সারা লাইফস্টাইল লিমিটেড'র সহকারী ব্যবস্থাপক অপারেশন প্রিয়ম ইবনে আমিন। | economy |
https://www.ajkerpatrika.com/79824/%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A7%87-%E0%A6%B9%E0%A7%83%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%8B%E0%A6%97-%E0%A6%9A%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%BF%E0%A7%8E%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%A8%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%A8-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE | দেশে হৃদরোগ চিকিৎসায় নতুন মাত্রা | বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো ৩৭ বছর বয়সী এক রোগীর হৃৎপিণ্ডের রক্তনালিতে একটি বায়োমাইম মরফ স্টেন্ট সফলভাবে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। মরফটি ছিল ৬০ মিলিমিটার দীর্ঘ। গত ২৩ অক্টোবর (শনিবার) ওষুধ প্রশাসনের অনুমতি সাপেক্ষে স্টেন্ট প্রতিস্থাপিত হয়। বর্তমানে সেই রোগী সুস্থ ও স্বাভাবিক রয়েছেন।হৃদ্রোগের চিকিৎসা ব্যবস্থায় এই নতুন মাত্রা যোগ করেছেন জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. অমল কুমার চৌধুরী। দুইটি রিং ব্যবহার না করে হৃৎপিণ্ডের রক্তনালিতে সর্বোচ্চ দীর্ঘ ও ক্রমান্বয়ে সরু স্টেন্ট প্রতিস্থাপন করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন তিনি। তাঁর এ সফলতায় দেশ-বিদেশের হৃদরোগ চিকিৎসকেরা সাধুবাদ জানিয়েছেন।আজ সোমবার অধ্যাপক ডা. অমল কুমার চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, চিকিৎসার জন্য স্টেন্টিং বা রিং লাগানো চিকিৎসা হৃৎপিণ্ডের রক্তনালির ব্লক বা স্টেনোসিস চিকিৎসার একটি আধুনিক পদ্ধতি। এতে রক্তনালির ব্লক বেলুন দিয়ে ফুলিয়ে তার ওপর একটি রিং বা স্টেন্ট বসিয়ে দেওয়া হয়। ফলে রক্তনালির পুনরায় ব্লক হওয়ার ঝুঁকি অনেকাংশে কমে যায়। এই রিং অতি সূক্ষ্ম তারের তৈরি কলমের রিংয়ের মতো দেখতে, যা বেলুন দিয়ে ফুলালে রক্তনালির গায়ে আটকে থাকে।ডা. অমল কুমার বলেন, হৃৎপিণ্ডের রক্তনালিতে দীর্ঘ ব্লক হওয়ার কারণে দুইটি স্টেন্ট বা রিং স্থাপনের প্রয়োজন হয়। সেখানে একটি লম্বা দীর্ঘ স্টেন্ট বা রিং প্রতিস্থাপন করায় রোগীদের আর্থিক সাশ্রয় হচ্ছে। এ ধরনের চিকিৎসার জন্য রোগীদের আর বিদেশে যাওয়ার প্রয়োজন হবে না। এতে দেশে হৃদরোগ চিকিৎসায় নতুন মাত্রা যোগ হলো।অমল কুমার আরও বলেন, হার্টের রক্তনালিতে ব্লকেজ হলে রক্তনালি সরু হয়ে রক্ত চলাচলে বাধা সৃষ্টি করে। ফলে হার্টের মাংসপেশি পর্যাপ্ত পরিমাণ অক্সিজেন ও খাবার পায় না। ব্যায়াম বা অধিক পরিশ্রমের সময় যখন অক্সিজেন ও খাবারের চাহিদা বেড়ে যায় তখন রক্ত সরবরাহ না বাড়লে এক ধরনের তীব্র বুকে অস্বস্তি বা ব্যথা করে যাকে এনজাইনা বলে। এ ছাড়া রক্তনালির চর্বির স্তর ফেটে গিয়ে তার ওপর রক্তের দানা জমা হয়ে রক্তনালি আংশিক বা পুরো বন্ধ হয়ে একিউট করোনারি সিনড্রোম হতে পারে। তাদের কষ্ট বা মৃত্যুঝুঁকি এড়ানোর জন্য এনজিওগ্রাম করে এনজিওপ্লাস্টি বা স্টেন্টিং অপারেশন করতে হয়।হৃদ্রোগ ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. অমল কুমার চৌধুরী নাটোরের লালপুরের বিলমাড়িয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি এমবিবিএস, এফসিপিএস (মেডিসিন), এমডি (কার্ডিওলজি), এফএসিসি (ইউএসএ), এফএসসিএআই (ইউএসএ), ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলজিতে প্রশিক্ষিত (ফ্রান্স ও ভারত) ডিগ্রি অর্জন করেন। | স্বাস্থ্য,নাটোর,চিকিৎসা,রাজশাহী বিভাগ,সুখবর,লালপুর,হৃদরোগ | অধ্যাপক ডা. অমল কুমার চৌধুরী। | life-health |
https://www.ajkerpatrika.com/184214/%E0%A6%86%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A7%80-%E0%A6%AF%E0%A7%81%E0%A6%AC%E0%A6%95%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%85%E0%A6%AD%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A7%8B%E0%A6%97-%E0%A6%87%E0%A6%89%E0%A6%AA%E0%A6%BF-%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%95 | যুবকদের মারধরের অভিযোগ সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে | মৌলভীবাজারের বড়লেখায় ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে কয়েকজন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর যুবককে আটকে রেখে মারধরের অভিযোগ উঠেছে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে। গতকাল শনিবার বিকেলে বড়লেখা সদর ইউনিয়নের ডিমাই এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটে।এ ঘটনায় আহতরা হলেন-উপজেলার উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়নের কুমারশাইল খাসিয়া পুঞ্জির রাজেশ খাসিয়া (২২), ওয়ান কে মেন (২৮) ও বিবার জেন (২৬)। এদের মধ্যে গুরুতর আহত রাজেশ খাসিয়াকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকি দুজন স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন।স্থানীয়রা বলছে, শনিবার বিকেলে বড়লেখা সদর ইউনিয়নের ডিমাই এলাকায় স্থানীয় আদিবাসী আয়োজিত ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলায় বড়লেখা সদর ইউনিয়নের ৫ নম্বর খাসিয়া পুঞ্জির মুখোমুখি হয় উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়নের কুমারশাইল খাসিয়াপুঞ্জি। খেলা চলাকালে পেনাল্টি কিক নিয়ে রেফারির সঙ্গে কুমারশাইল খাসিয়াপুঞ্জির খেলোয়াড়দের কথা-কাটাকাটি হয়। এ সময় মাঠে প্রবেশ করে পেনাল্টি নিয়ে আপত্তি জানান কুমারশাইল খাসিয়াপুঞ্জির টিম ম্যানেজার বয়োজ্যেষ্ঠ সুখমন খাসিয়া। একই সময় টুর্নামেন্টের ফাইনালে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকা বড়লেখা সদর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সিরাজ উদ্দিনও খেলার মাঠে প্রবেশ করেন। তখন তিনি কুমারশাইল খাসিয়াপুঞ্জির টিম ম্যানেজারকে পেনাল্টি মেনে নিতে বললে খাসিয়াপুঞ্জির টিম ম্যানেজার সুখমন তা প্রত্যাখ্যান করে মাঠ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নেন। এ সময় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজ উদ্দিন টিম ম্যানেজার সুখমন খাসিয়াকে চড়-থাপ্পড় মারেন। এতে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়লে চেয়ারম্যান তাঁকে লাথি মারেন। বাবাকে মারতে দেখে সুখমনের ছেলে এগিয়ে এসে সিরাজ উদ্দিনকে ধাক্কা দেন। এরপর সিরাজ উদ্দিনের পক্ষের লোকজন মিলে কুমারশাইল খাসিয়াপুঞ্জির খেলোয়াড়দের অবরুদ্ধ করে রাখেন এবং কয়েকজনকে মারধর করেন। পরে খবর পেয়ে থানা-পুলিশ কুমারশাইল খাসিয়াপুঞ্জির খেলোয়াড়দের উদ্ধার করে।এ বিষয়ে অভিযুক্ত বড়লেখা সদর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান সিরাজ উদ্দিনের মোবাইলে কয়েকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। তিনি কল না ধরায় তাঁর বক্তব্য জানা যায়নি।উত্তর শাহবাজপুর ইউপির চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন আহমদ রোববার বিকেলে বলেন, ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলায় পেনাল্টি নিয়ে বড়লেখা সদর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান সিরাজ উদ্দিন আমার ইউপির কুমারশাইল খাসিয়াপুঞ্জির টিম ম্যানেজার সুখমন খাসিয়াকে থাপ্পড় ও লাথি মারেন। বাবাকে মারতে দেখে সুখমনের ছেলে সিরাজ উদ্দিনকেও আঘাত করেন। এরপর স্থানীয় লোকজন কুমারশাইল খাসিয়াপুঞ্জির টিম ম্যানেজার, খেলোয়াড় ও সমর্থকদের অবরুদ্ধ করে রাখেন এবং কয়েকজনকে মারধর করেন। খবর পেয়ে আমি থানার ওসিসহ পুলিশ নিয়ে তাঁদের উদ্ধার করেছি। আহতদের একজনকে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।এ বিষয়ে বড়লেখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার বলেন, 'দুই আদিবাসী দলের মধ্যে ফুটবল খেলা চলছিল। খেলায় পেনাল্টি কুমারশাইল পুঞ্জির বিপক্ষে যায়। এটা তারা মানেনি। এ নিয়ে কথা-কাটাকাটির জেরে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজ উদ্দিন কুমারশাইল পুঞ্জির একজনকে চড় মেরেছেন। তারাও চেয়ারম্যানকে ধাক্কা মেরেছেন। এ নিয়ে উত্তেজনা ছিল। পরে পুলিশ পাঠিয়ে উত্তেজনা নিরসন করা হয়েছে। উত্তর শাহবাজপুরের চেয়ারম্যান থানায় এসেছিলেন। ঈদের পরে উভয় পক্ষকে নিয়ে বিষয়টি বসে সমাধান করা হবে।' | মৌলভীবাজার,সিলেট বিভাগ,অভিযোগ,ইউপি চেয়ারম্যান,বড়লেখা,আদিবাসী | মৌলভীবাজারের বড়লেখায় ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে মারধরের শিকার আদিবাসী যুবক। | national |
https://www.ajkerpatrika.com/160981/%E0%A6%AE%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%8B%E0%A6%9A%E0%A6%BF%E0%A6%AA-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A6%A8-%E2%80%98%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AA%E0%A7%82%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A3 | মস্তিষ্কে মাইক্রোচিপ প্রতিস্থাপন, 'সম্পূর্ণ বাক্যে' যোগাযোগ করতে পারবেন পক্ষাঘাতগ্রস্ত ব্যক্তিরা | সম্পূর্ণ পক্ষাঘাতগ্রস্ত বা পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে গেলেও এখন থেকে আক্রান্ত ব্যক্তিরা সম্পূর্ণ বাক্যের মাধ্যমে যোগাযোগ করতে সক্ষম হবেন। প্যারালাইসিস বা অ্যামিওট্রফিক ল্যাটারাল স্ক্লেরোসিস রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি তাঁর স্নায়ুকোষ, মস্তিষ্ক, স্পাইনাল কর্ডের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। ফলে তাঁর শরীরের পেশিকোষগুলো আর কাজ করতে সক্ষম হন না। কিন্তু সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা পক্ষাঘাতগ্রস্ত মানুষের মস্তিষ্কে এমন একটি মাইক্রোচিপ স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছেন যা দিয়ে পক্ষাঘাতগ্রস্ত মানুষ তাঁর পরিবারের সঙ্গে সম্পূর্ণ বাক্য যোগাযোগ করতে পারবেন।বিজ্ঞান সাময়িকী নেচার কমিউনিকেশনস জার্নালে প্রকাশিত এক নিবন্ধে বলা হয়েছে, এই প্রথমবারের মতো সম্পূর্ণরূপে পক্ষাঘাতগ্রস্ত কোনো ব্যক্তি-যার মস্তিষ্ক কর্মক্ষম কিন্তু শরীর সম্পূর্ণরূপে পক্ষাঘাতগ্রস্ত তিনি ওই মাইক্রোচিপ সম্পূর্ণ বাক্যে যোগাযোগ করতে সক্ষম হয়েছেন। ৩৬ বছর বয়সী এক জার্মান ব্যক্তি যিনি ২০১৫ সালে পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে যান। তাঁর মস্তিষ্কে মাইক্রোচিপ স্থাপনের পর তিনি তাঁর পরিবারের সঙ্গে সম্পূর্ণ বাক্য দিয়ে যোগাযোগ করতে সক্ষম হন।চিকিৎসকেরা ওই ব্যক্তির মস্তিষ্কের মোটর কর্টেক্সে দুটি মাইক্রোচিপ স্থাপন করেছেন। প্রতিটি মাইক্রোচিপের আকার প্রায় দেড় মিলিমিটার। মস্তিষ্কের শীর্ষে অবস্থিত মোটর কর্টেক্স অঞ্চলটি মানুষের পেশির নড়াচড়া ও নিয়ন্ত্রণের জন্য দায়ী। মাইক্রোচিপ স্থাপনের পর গবেষকেরা ওই ব্যক্তিকে শারীরিক নড়াচড়া কল্পনা করতে প্রশিক্ষণ দেন। গবেষকেরা মস্তিষ্ক থেকে একটি নির্ভরযোগ্য সংকেত পাওয়ার চেষ্টায় এই পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। এর পর, তাঁরা প্রাপ্ত সংকেতটিকে এক ধরনের কমান্ডে অনুবাদ করার চেষ্টা করেন এবং তাঁরা অনেকাংশে সফল হন।নেদারল্যান্ডসের ইউনিভার্সিটি মেডিকেল সেন্টার ইউট্রেক্টের গবেষক ও মাইক্রোচিপ প্রতিস্থাপনকারী দলের সদস্য মারিস্কা ভ্যানস্টিনসেল সায়েন্স ডট অর্গকে বলেছেন, 'লোকজন সত্যিই সন্দেহ করছে যে-এটি সম্ভব ছিল কিনা।'সাধারণত একজন পক্ষাঘাতগ্রস্ত লোক কথা বলতে পারেন না। তাই তাঁরা যোগাযোগের বেলায় একটি আই-ট্র্যাকিং ডিভাইস ব্যবহার করে ডিজিটাল স্ক্রিনে অক্ষর নির্বাচন করে চোখের ইশারায় তাঁকে করা প্রশ্নের হ্যাঁ বা না উত্তর দিতে পারেন। প্রখ্যাত বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিংও এ পদ্ধতি অনুসরণ করে যোগাযোগ করে থাকেন। | গবেষণা,বিজ্ঞানী,চিকিৎসা | পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে গেলেও এখন থেকে আক্রান্ত ব্যক্তিরা সম্পূর্ণ বাক্যে যোগাযোগ করতে সক্ষম হবেন। | science-tech |
https://www.bhorerkagoj.com/2022/01/31/%e0%a6%9a%e0%a6%be%e0%a6%81%e0%a6%a6%e0%a6%be%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%9c%e0%a6%bf%e0%a6%b0-%e0%a6%85%e0%a6%ad%e0%a6%bf%e0%a6%af%e0%a7%8b%e0%a6%97-%e0%a6%b8%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%9c/ | চাঁদাবাজির অভিযোগ: সার্জেন্টের বিরুদ্ধে বাস চালকদের বিক্ষোভ | মিথ্যা মামলার ভয় দেখিয়ে চাঁদা নেয়ার অভিযোগে ট্রাফিক পুলিশের এক সার্জেন্টের বিরুদ্ধে সড়কে বিক্ষোভ করেছে সদরঘাট রুটের বাস চালক ও সহকারীরা। সোমবার (৩১ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৮টায় পুরান ঢাকার সদরঘাট এলাকার বাহাদুর শাহ পার্কের সামনে প্রায় আধা ঘণ্টা ধরে আন্দোলন করেন তারা। তবে পরবর্তীতে পুলিশের হস্তক্ষেপে তারা আন্দোলন থেকে সরে আসেন। বিক্ষোভকারীদের কাছ থেকে জানা যায়, মধু নামের ট্রাফিক পুলিশের এক সার্জেন্ট মামলার ভয় দেখিয়ে সদরঘাট সংলগ্ন সকল বাস থেকে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা আদায় করে থাকেন। কেউ টাকা দিতে অস্বীকার করলে গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা দেয়া এমনকি ড্রাইভার অথবা হেলপারকে মারধর করারও অভিযোগ করেন বিক্ষোভকারীরা। আন্দোলনরত সাভার পরিবহনের ড্রাইভার মো. রাশেদ বলেন, মধু নামে ওই সার্জেন্ট অকারণে গাড়ি ধরে ৫০০ টাকা চেয়ে বসেন। টাকা না দিলে আড়াই হাজার অথবা পাঁচ হাজার টাকার মামলা দিয়ে দেন। সদরঘাটের এমন কোনো গাড়ি নেই যে গাড়ি থেকে মধু স্যার টাকা নেননি। আজমেরী পরিবহনের মালিক মোহাম্মদ আলাউদ্দিন বলেন, সার্জেন্ট মধুর অত্যাচারে আমরা অতিষ্ট। রোডে গাড়ি চললেই উনাকে চাঁদা দিতে হয়। যার জন্য আজ আমরা সবাই মিলে এর প্রতিবাদ জানাতে রাস্তায় নেমে এসেছি। আমরা চাই এর সুষ্ঠু বিচার হোক। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সার্জেন্ট মধু। তিনি বলেছেন, আমার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ মিথ্যা। আমি কখনো কারও কাছ থেকে চাঁদা নিইনি। গাড়ির কাগজপত্রে সমস্যা থাকলে অথবা নির্দিষ্ট এরিয়ার বাইরে গাড়ি গেলে আমি আইনগতভাবে মামলা দিই। ড্রাইভাররা লঞ্চ টার্মিনালের দিকে গাড়ি নিয়ে যায় অথবা উল্টো পথে গাড়ি আনা-নেয়া করে। তখন আমি মামলা দিই। চালক ও সহকারীদের বিক্ষোভের বিষয়ে তিনি বলেন, আজ সকালে একটা গাড়িতে মামলা দেয়ার পর এরা সবাই অহেতুক রাস্তা বন্ধ করে আন্দোলন করেছে। আমি আমার আইনি দায়িত্ব পালন করেছি মাত্র। | চাঁদাবাজির অভিযোগ,বাস শ্রমিক,বিক্ষোভ,সার্জেন্ট | সোমবার পুরান ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্কের সামনে আন্দোলন করেন সদরঘাট রুটের বাস চালকরা। | national |