id
int64 1
264
| question
stringlengths 13
860
| answer
stringlengths 3
2.12k
|
---|---|---|
1 | পশ্চিমবঙ্গের কয়েকটি নদীর নাম বল। | পশ্চিমবঙ্গে বহু নদী ও তাদের শাখা-প্রশাখা আছে। এর মধ্যে কয়েকটি প্রধান নদী হল গঙ্গা, দামোদর, রূপনারায়ণ, অজয় এবং তিস্তা। |
2 | কিছু বিখ্যাত বাঙালি মিষ্টির নাম বলুন। | বাঙালি মিষ্টান্ন বহুপ্রকারের। এর মধ্যে কয়েকটি হল রসগোল্লা, কালাকাঁদ, রসমালাই, ল্যাংচা এবং সন্দেশ। |
3 | নারুতো কোন গ্রামের বাসিন্দা? | নারুতো কোনোহা গ্রামের বাসিন্দা। |
4 | নারুতোর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী কে ছিল? | নারুতোর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী সাসকে। |
5 | দুর্গাপুর শহর কোথায় অবস্থিত? | দুর্গাপুর ভারতের পশ্চিমবঙ্গে দামোদর নদীর তীরে অবস্থিত। |
6 | পাঁচটি ফলের নাম বল। | অবশ্যই! আম, জাম, লিচু, তরমুজ, ও নাশপাতি—এগুলো হল পাঁচটি বিভিন্ন ধরনের ফল। |
7 | পাঁচটি সবজির নাম বল। | অবশ্যই! ফুলকপি, বাঁধাকপি, মটরশুটি, মূলা, এবং গাজর।—এগুলো হল পাঁচটি বিভিন্ন ধরনের সবজি। |
8 | নিম্নলিখিত বস্তুগুলিকে ফল এবং সবজিতে আলাদা কর:
ফুলকপি, পেয়ারা, আলু, মটর, আনারস, শালগম | ফল: পেয়ারা, আনারস
সবজি: ফুলকপি, আলু, মটর, শালগম |
9 | রাইস্ কুকারে ভাত বানাবেন কি ভাবে? | ১) প্রথমে একটা বাটিতে এক কাপ চাল নিন।
২) তিন-চারবার জল পাল্টে চালটা ভাল ভাবে ধুয়ে নিন।
৩) রাইস্ কুকারের পাত্রে চালটা ঢেলে দিন।
৪) পাত্রে দু কাপ জল দিন।
৫) রাইস্ কুকারের ঢাকনা বন্ধ করে সুইচ অন্ করে দিন।
৬) নির্দিষ্ট সময় পরে ভাত প্রস্তুত হবে।
৭) রাইস্ কুকারের সুইচ অফ্ করে একটু সময় পরে খুলুন। |
10 | গ্রীন্ টি বানাব কি ভাবে? | গ্রীন্ টি খুব সহজেই বানান যায়। প্রথমে কেটলিতে এক কাপ জল ফুটিয়ে নিন। ফোটান জল কাপে ঢালুন। এবার একটি গ্রীন্ টি ব্যাগ কাপে ডুবিয়ে দিন। দুই থেকে চার মিনিট পরে টি ব্যাগটি তুলে নিন। গ্রীন্ টি প্রস্তুত! |
11 | আপনি চা পছন্দ করেন না কফি? | ব্যক্তিগতভাবে আমি চা পছন্দ করি। তবে অনেকে কফি পছন্দ করেন। |
12 | দুর্গাপুর থেকে কলকাতা যাব কিভাবে? | দুর্গাপুর থেকে কলকাতা বিভিন্ন ভাবে যাওয়া যায়। দুর্গাপুর স্টেষন থেকে ট্রেন ধরে হাওড়া স্টেষন যেতে পারেন। সেখান থেকে বাস বা ট্য়াক্সি ধরে কলকাতার গন্তব্য়স্থলে যেতে পারেন। অথবা দুর্গাপুর থেকে বাস ধরে কলকাতার ধর্মতলা বা করুণাময়ী যেতে পারেন। এছাড়া দুর্গাপুর থেকে গাড়ি করেও কলকাতার গন্তব্য়স্থলে যেতে পারেন। |
13 | কোন নদীকে পশ্চিমবঙ্গের দুঃখ বলা হয়? | দামোদর নদীকে পশ্চিমবঙ্গের দুঃখ বলা হয় কারণ এই নদীর আশেপাশে প্রায়ই বন্য়া হয়। |
14 | দুর্গাপুরের নিকটতম বিমানবন্দর কোনটি? | কাজী নজরুল ইসলাম বিমানবন্দর। এটি দুর্গাপুরের সিটি সেন্টার থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। |
15 | নববর্ষের একটি শুভেচ্ছা বার্তা লিখুন। | শুভ নববর্ষ! নতুন বছর ভাল কাটুক। সবাই ভাল থাকুন। |
16 | বিজয়ার শুভেচ্ছাবার্তা লিখুন। | বিজয়ার প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানাই। |
17 | নববর্ষের শুভেচ্ছাবার্তা লিখুন। | শুভ নববর্ষ! নতুন বছর খুব ভাল কাটুক। |
18 | ভাত ও ডাল বানাতে কতটা জল লাগে? | এক কাপ চালের ভাত বানাতে সাধারণত দুই কাপ জল প্রয়োজন। অন্যদিকে, এক কাপ ডাল প্রেসার কুকারে সিদ্ধ করতে দুই থেকে তিন কাপ জল লাগে। |
19 | শক্তিগড়ের কোন মিষ্টি বিখ্যাত? | শক্তিগড়ের লেংচা খুবই বিখ্যাত। এছাড়া সীতাভোগ ও মিহিদানাও বিখ্যাত। |
20 | পশ্চিমবঙ্গের কয়েকটি বিমানবন্দরের নাম বলুন। | পশ্চিমবঙ্গের কয়েকটি বিমানবন্দর হল:
- নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (IATA: CCU)। এটি কলকতা শহরে অবস্থিত।
- বাগডোগরা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (IATA: IXB)। এটি শিলিগুড়িতে অবস্থিত।
- কাজী নজরুল ইসলাম বিমানবন্দর (IATA: RDP)। এটি দুর্গাপুর শহরে অবস্থিত। |
21 | দুর্গাপুর বিমানবন্দরে কোন এয়ারলাইন্স চলাচল করে? | বর্তমানে দুর্গাপুর বিমানবন্দর (কাজী নজরুল ইসলাম বিমানবন্দর) থেকে ইন্ডিগো এয়ারলাইন্স এর বিমান চলাচল করে। দুর্গাপুর থেকে বিমানগুলি ব্যাঙ্গালোর, চেন্নাই, দিল্লি, হায়দ্রাবাদ, ও মুম্বাই যায়। |
22 | পশ্চিমবঙ্গে কোন ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (IIT) ও ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (NIT) অবস্থিত? | পশ্চিমবঙ্গে একটি ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (IIT) এবং একটি ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি আছে। এগুলি হল ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি খড়গপুর, যেটি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পশ্চিম খড়গপুর শহরে অবস্থিত। অন্যদিকে, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি দুর্গাপুর পশ্চিম বর্ধমান জেলার দুর্গাপুর শহরে অবস্থিত। |
23 | দুর্গাপুরে অবস্থিত কয়েকটি বড় কারখানার নাম বলুন। | দুর্গাপুরে অবস্থিত কয়েকটি বড় কারখানা হল:
- দুর্গাপুর প্রজেক্টস লিমিটেড (DPL)
- দুর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্ট (DSP)
- মাইনিং অ্যান্ড অ্যালাইড মেশিনারি কর্পোরেশন (MAMC) |
24 | পশ্চিমবঙ্গে কতগুলি জেলা রয়েছে? | ২০২৪ সালের তথ্য অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গে ২৩টি জেলা রয়েছে। এইগুলো হল:
- আলিপুরদুয়ার
- বাঁকুড়া
- পশ্চিম বর্ধমান
- পূর্ব বর্ধমান
- বীরভূম
- কোচবিহার
- দার্জিলিং
- দক্ষিণ দিনাজপুর
- হুগলি
- হাওড়া
- জলপাইগুড়ি
- ঝাড়গ্রাম
- কলকাতা
- কালিম্পং
- মালদা
- পশ্চিম মেদিনীপুর
- পূর্ব মেদিনীপুর
- মুর্শিদাবাদ
- নাদিয়া
- উত্তর ২৪ পরগনা
- দক্ষিণ ২৪ পরগনা
- পুরুলিয়া
- উত্তর দিনাজপুর |
25 | বাংলা ক্যালেন্ডারে কতগুলি মাস আছে? | বাংলা ক্যালেন্ডারে ১২টি মাস আছে: বৈশাখ, জ্যৈষ্ঠ, আষাঢ়, শ্রাবণ, ভাদ্র, আশ্বিন, কার্তিক, অগ্রহায়ণ, পৌষ, মাঘ, ফাল্গুন এবং চৈত্র। |
26 | পাঁচের নামতা লেখ। | ৫ × ১ = ৫
৫ × ২ = ১০
৫ × ৩ = ১৫
৫ × ৪ = ২০
৫ × ৫ = ২৫
৫ × ৬ = ৩০
৫ × ৭ = ৩৫
৫ × ৮ = ৪০
৫ × ৯ = ৪৫
৫ × ১০ = ৫০ |
27 | এগারোর নামতা লেখ। | ১১ × ১ = ১১
১১ × ২ = ২২
১১ × ৩ = ৩৩
১১ × ৪ = ৪৪
১১ × ৫ = ৫৫
১১ × ৬ = ৬৬
১১ × ৭ = ৭৭
১১ × ৮ = ৮৮
১১ × ৯ = ৯৯
১১ × ১০ = ১১০ |
28 | ২ + ৩ × ৫ = ? | ২ + ৩ × ৫ = ২ + (৩ × ৫) = ২ + ১৫ = ১৭ |
29 | সুকুমার রায়ের আবোল তাবোল কাব্য সংকলনে কতগুলি কবিতা আছে? | সুকুমার রায়ের আবোল তাবোল কাব্য সংকলনে ৪০টির ও বেশি কৌতুক কবিতা আছে। কবিতাগুলি হল:
আবোল তাবোল
খিচুড়ি
কাঠ-বুড়ো
গোঁফ চুরি
সৎ পাত্র
প্যাঁচা আর প্যাঁচানি
কাতুকুতু বুড়ো
গানের গুঁতো
খুড়োর কল
লড়াই-ক্ষ্যাপা
ছায়াবাজি
কুম্ড়োপটাশ
সাবধান
বাবুরাম সাপুড়ে
হাতুড়ে
চোর ধরা
অবাক কাণ্ড
ভাল রে ভাল
কিম্ভূত
নেড়া বেলতলায় যায় ক’বার?
বুঝিয়ে বলা
শব্দকল্পদ্রুম
বুড়ির বাড়ি
বোম্বাগড়ের রাজা
একুশে আইন
হুঁকো মুখো হ্যাংলা
দাঁড়ে দাঁড়ে দ্রুম
নারদ-নারদ
কি মুস্কিল
ভুতুড়ে খেলা
ডানপিটে
রামগরুড়ের ছানা
আহ্লাদী
হাত গণনা
গন্ধ বিচার
কাঁদুনে
হুলোর গান
ঠিকানা
গল্প বলা
নোট বই
ভয় পেয়ো না
ট্যাঁশ্ গরু
ফস্কে গেল
পালোয়ান
বিজ্ঞান শিক্ষা
খুচরো ছড়া
আবোল তাবোল |
30 | নিচের পংক্তিগুলি সুকুমার রায়ের খিচুড়ি কবিতা থেকে নেওয়া। এর উপর ভিত্তি করে ধারণাটিকে একটি সমীকরণ হিসাবে প্রকাশ করুন।
হাঁস ছিল, সজারু, (ব্যাকরণ মানি না),
হয়ে গেল ‘হাঁসজারু’ কেমনে তা জানি না। | হাঁস + সজারু = হাঁসজারু |
31 | নিচের পংক্তি দুটি সুকুমার রায়ের খিচুড়ি কবিতা থেকে নেওয়া। এর উপর ভিত্তি করে ধারণাটিকে একটি সমীকরণ হিসাবে প্রকাশ কর।
বক কহে কচ্ছপে— “বাহবা কি ফুর্তি!
অতি খাসা আমাদের বকচ্ছপ মূর্তি।” | বক + কচ্ছপ = বকচ্ছপ |
32 | সুকুমার রায়ের খিচুড়ি কবিতা নিচে দেওয়া হল। এখানে কোন কোন পশু, পাখি ও পোকার নাম উল্লেখ করা হয়েছে?
খিচুড়ি
সুকুমার রায়
হাঁস ছিল, সজারু, (ব্যাকরণ মানি না),
হয়ে গেল ‘হাঁসজারু’ কেমনে তা জানি না।
বক কহে কচ্ছপে— “বাহবা কি ফুর্তি!
অতি খাসা আমাদের বকচ্ছপ মূর্তি।”
টিয়ামুখো গিরগিটি মনে ভারি শঙ্কা—
পোকা ছেড়ে শেষে কিগো খাবে কাঁচা লঙ্কা?
ছাগলের পেটে ছিল না জানি কি ফন্দি,
চাপিল বিছার ঘাড়ে, ধড়ে মুড়ো সন্ধি!
জিরাফের সাধ নাই মাঠে-ঘাটে ঘুরিতে,
ফড়িঙের ঢঙ ধরি সেও চায় উড়িতে।
গরু বলে, “আমারেও ধরিল কি ও রোগে?
মোর পিছে লাগে কেন হতভাগা মোরগে?”
হাতিমির দশা দেখ— তিমি ভাবে জলে যাই,
হাতি বলে, “এই বেলা জঙ্গলে চল ভাই।”
সিংহের শিং নেই, এই তার কষ্ট—
হরিণের সাথে মিলে শিং হল পষ্ট। | খিচুড়ি কবিতায় নিম্নলিখিত পশু, পাখি এবং পোকামাকড়ের নাম উল্লেখ করা হয়েছে:
- পশু: সজারু, কচ্ছপ, গিরগিটি, ছাগল, বিছা, জিরাফ, গরু, তিমি, হাতি, সিংহ ও হরিণ
- পাখি: হাঁস, বক, টিয়া ও মোরগ
- পোকা: ফড়িঙ |
33 | খিচুড়ি কবিতার ভিত্তিতে, প্রদত্ত বিকল্পগুলি থেকে সঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে শূন্যস্থান পূরণ করুন:
সিংহের _____ নেই, এই তার কষ্ট—
হরিণের সাথে মিলে শিং হল পষ্ট।
(ক) লেজ (খ) শিং (গ) কেশর (ঘ) থাবা | সঠিক উত্তর হল: (খ) শিং |
34 | নিচের পংক্তিগুলি সুকুমার রায়ের কাঠ-বুড়ো কবিতা থেকে নেওয়া:
হাঁড়ি নিয়ে দাড়িমুখো কে-যেন কে বৃদ্ধ,
রোদে বসে চেটে খায় ভিজে কাঠ সিদ্ধ।
মাথা নেড়ে গান করে গুন্ গুন্ সংগীত—
ভাব দেখে মনে হয় না-জানি কি পণ্ডিত!
প্রশ্ন: উপরোক্ত বর্ণনার উপর ভিত্তি করে, বৃদ্ধ কি করছেন? | সুকুমার রায়ের কাঠ-বুড়ো কবিতার প্রথম চারটি পংক্তির বর্ণনা অনুযায়ী, বৃদ্ধ, অর্থাৎ কাঠ-বুড়ো, কাঠ সিদ্ধ খাচ্ছেন এবং গান গাইছেন। |
35 | সুকুমার রায়ের গোঁফ চুরি কবিতার একটি অংশ নিচে দেওয়া হল:
হেড আফিসের বড়বাবু লোকটি বড় শান্ত,
তার যে এমন মাথার ব্যামো কেউ কখনো জান্ত?
দিব্যি ছিলেন খোসমেজাজে চেয়ারখানি চেপে,
একলা বসে ঝিম্ঝিমিয়ে হটাৎ গেলেন ক্ষেপে!
আঁৎকে উঠে হাত-পা ছুঁড়ে চোখটি ক’রে গোল!
হটাৎ বলেন, “গেলুম গেলুম, আমায় ধ’রে তোল!”
তাই শুনে কেউ বদ্যি ডাকে, কেউ-বা হাঁকে পুলিশ,
কেউ-বা বলে, “কামড়ে দেবে সাবধানেতে তুলিস।”
ব্যস্ত সবাই এদিক-ওদিক করছে ঘোরাঘুরি—
বাবু হাঁকেন, “ওরে আমার গোঁফ গিয়েছে চুরি!”
উপরের বর্ণনার উপর ভিত্তি করে বড়বাবুর একটি বিবরণ দিন। | হেড আফিসের বড়বাবু সাধারণত শান্ত প্রকৃতির লোক। কিন্তু একদিন হঠাৎ তিনি উত্তেজিত হয়ে উঠলেন এবং দাবি করলেন যে তাঁর গোঁফ চুরি গিয়েছে!
বাস্তবে কারুর গোঁফ চুরি যায়না। কিন্তু সুকুমার রায় হাস্যকবি এবং তাঁর কবিতায় তিনি এক হাস্যকর ও অদ্ভুত পরিস্থিতির বর্ণনা দিয়েছেন। |
36 | সুকুমার রায়ের গোঁফ চুরি কবিতার একটি অংশ নিচে দেওয়া হল:
“গোঁফকে বলে _____ আমার— গোঁফ কি কারো কেনা?
“গোঁফের _____ গোঁফের তুমি, তাই দিয়ে যায় চেনা।”
প্রদত্ত বিকল্পগুলি থেকে সঠিক উত্তর বেছে নিয়ে শূন্যস্থান দুটি পূরণ করুন।
(ক) আমার, তোমার
(খ) আপনার, তুমি
(গ ) তোমার, আমি
(ঘ) আপনার, আমি | সঠিক উত্তর হল: (খ) আপনার, তুমি |
37 | সুকুমার রায়ের সৎ পাত্র কবিতার একটি অংশ নিচে দেওয়া হল:
শুনতে পেলুম পোস্তা গিয়ে—
তোমার নাকি মেয়ের বিয়ে?
গঙ্গারামকে পাত্র পেলে?
জানতে চাও সে কেমন ছেলে?
মন্দ নয়, সে পাত্র ভালো—
রঙ যদিও বেজায় কালো;
তার উপরে মুখের গঠন
অনেকটা ঠিক প্যাঁচার মতন।
বিদ্যে বুদ্ধি? বলছি মশাই—
ধন্যি ছেলের অধ্যবসায়!
উনিশটিবার ম্যাট্রিকে সে
ঘায়েল হয়ে থামল শেষে।
উপরোক্ত অংশটির উপর ভিত্তি করে একটি সারাংশ লিখুন। | সুকুমার রায়ের সৎ পাত্র একটি কৌতুক কবিতা। কবি এখানে দুই পরিচিত ব্যক্তির মধ্যে কথোপকথন বর্ণনা করেছেন। প্রথম ব্যক্তি দ্বিতীয় ব্যক্তির কন্যার বিবাহের খবর পেয়েছেন। পাত্রের নাম গঙ্গারাম। আপাতদৃষ্টিতে প্রথম ব্যক্তি পাত্রের সম্বন্ধে অনেক খোঁজখবর রাখেন যা দ্বিতীয় ব্যক্তির অজানা। কিন্তু সরাসরি নিন্দা না করে তিনি ঘুরিয়ে নাক ধরছেন। পাত্র অর্থাৎ গঙ্গারাম শ্যামবর্ণ। সে সুদর্শন নয়। তদুপরি ম্যাট্রিক পরীক্ষায় সে ১৯বার ফেল করেছে ! |
38 | নিচের পংক্তিদুটি সৎ পাত্র কবিতা থেকে নেওয়া:
শ্যাম লাহিড়ী বনগ্রামের
কি যেন হয় গঙ্গারামের।—
প্রশ্ন: বনগ্রামে যিনি থাকেন তার নাম কি?
উত্তর: | শ্যাম লাহিড়ী |
39 | নিচের অংশটি সৎ পাত্র কবিতা থেকে নেওয়া:
মানুষ তো নয় ভাইগুলো তার—
একটা পাগল, একটা গোঁয়ার;
আরেকটি সে তৈরি ছেলে,
জাল ক’রে নোট গেছেন জেলে।
কনিষ্ঠটি তবলা বাজায়
যাত্রাদলে পাঁচ টাকা পায়।
উপরোক্ত বিবরণ অনুযায়ী গঙ্গারামের কয় ভাই? | উপরোক্ত বিবরণ অনুযায়ী সৎ পাত্র কবিতায় গঙ্গারামের চার ভাই আছে। |
40 | সুকুমার রায়ের সৎ পাত্র কবিতার একটি অংশ নিচে দেওয়া হল:
কনিষ্ঠটি তবলা বাজায়
যাত্রাদলে _____ টাকা পায়।
প্রদত্ত বিকল্পগুলি থেকে সঠিক উত্তর বেছে নিয়ে শূন্যস্থান দুটি পূরণ করুন।
(ক) কালকে
(খ) আকাশে
(গ ) বাতাসে
(ঘ) পাঁচ | সঠিক উত্তর হল: (ঘ) পাঁচ |
41 | সুকুমার রায়ের কাতুকুতু বুড়ো কবিতার একটি অংশ নিচে দেওয়া হল:
আর যেখানে যাও না রে ভাই সপ্তসাগর পার,
কাতুকুতু বুড়োর কাছে যেও না খবরদার!
কবি কোথায় যেতে বারণ করছেন? | কবি বলছেন যে পৃথিবীর যেখানে খুশি যেতে পার কিন্তু কাতুকুতু বুড়োর কাছে যেন কখনো যেও না। |
42 | "একলা পেলে জোর ক’রে ভাই গল্প শোনায় প’ড়ে।"
সুকুমার রায়ের কাতুকুতু বুড়ো কাউকে একলা পেলে কি করেন? | কাতুকুতু বুড়ো কাউকে একলা পেলে জোর করে গল্প শোনান। |
43 | সুকুমার রায়ের কাতুকুতু বুড়ো কবিতার একটি অংশ নিচে দেওয়া হল:
কেবল যদি _____ বলে তাও থাকা যায় সয়ে,
গায়ের উপর সুড়সুড়ি দেয় লম্বা _____ লয়ে।
প্রদত্ত বিকল্পগুলি থেকে সঠিক উত্তর বেছে নিয়ে শূন্যস্থান দুটি পূরণ করুন।
(ক) গল্প, পালক
(খ) কথা, কাঠি
(গ ) গান, হাতুড়ি
(ঘ) নীরব, চিঠি | সঠিক উত্তর হল: (ক) গল্প, পালক |
44 | সুকুমার রায়ের গানের গুঁতো কবিতার একটি অংশ নিচে দেওয়া হল:
গান জুড়েছেন গ্রীষ্মকালে ভীষ্মলোচন শর্মা—
আওয়াজখানা দিচ্ছে হানা দিল্লী থেকে বর্মা!
এখানে কে গান গাইছেন? তাঁর গানের আওয়াজ কোথায় পর্যন্ত্য পৌছেছে? | কবিতাটিতে ভীষ্মলোচন শর্মা গান গাইছেন। তাঁর গানের স্বর এটি জোরালো যে তা যেন দিল্লী থেকে বর্মা অব্দি শোনা যাচ্ছে। |
45 | সুকুমার রায়ের গানের গুঁতো কবিতার একটি অংশ নিচে দেওয়া হল:
এক যে ছিল পাগলা ছাগল, এমনি সেটা ওস্তাদ,
গানের তালে শিং বাগিয়ে মারলে গুঁতো পশ্চাৎ।
আর কোথা যায় একটি কথায় গানের মাথায় ডাণ্ডা,
‘বাপ রে’ বলে ভীষ্মলোচন এক্কেবারে ঠাণ্ডা।
ভীষ্মলোচনের গান থামে কিভাবে? | ভীষ্মলোচন শর্মা ছাগলের গুঁতো খেয়ে গান বন্ধ করেন! |
46 | সুকুমার রায়ের গানের গুঁতো কবিতার একটি অংশ নিচে দেওয়া হল:
গাইছে ছেড়ে প্রাণের _____, গাইছে তেড়ে প্রাণপণ,
ছুটছে লোকে চারদিকেতে ঘুরছে মাথা _____।
প্রদত্ত বিকল্পগুলি থেকে সঠিক উত্তর বেছে নিয়ে শূন্যস্থান দুটি পূরণ করুন।
(ক) কায়া, কনকন
(খ) গতি, ঝট্পট্
(গ ) মায়া, ভন্ভন্
(ঘ) ঘটি, কন্কন্ | সঠিক উত্তরটি হল: (গ ) মায়া, ভন্ভন্ |
47 | সুকুমার রায়ের খুড়োর কল কবিতার একটি অংশ নিচে দেওয়া হল:
সামনে তাহার খাদ্য ঝোলে যার যেরকম রুচি—
মণ্ডা মিঠাই চপ্ কাট্লেট্ খাজা কিংবা লুচি।
এখানে কোনগুলো মিষ্টি খাবার এবং কোনগুলো নোনতা? | মণ্ডা, মিঠাই ও খাজার স্বাদ মিষ্টি। অন্যদিকে, চপ্, কাট্লেট্ এবং লুচি নোনতা স্বাদের। |
48 | শূন্যস্থান পূরণ কর:
"খাবার গন্ধে পাগল হয়ে জিভের _____ ভেসে।" | জলে |
49 | সুকুমার রায়ের লড়াই-ক্ষ্যাপা কবিতার একটি অংশ নিচে দেওয়া হল:
চেঁচিয়ে বলে, “ফাঁদ পেতেছ? জগাই কি তায় পড়ে?
সাত জার্মান, জগাই একা, তবুও জগাই লড়ে।”
এখানে কার জন্য ফাঁদ পাতা হয়েছে? সে কতজনের সঙ্গে লড়াই করছে? | জগাইয়ের জন্য ফাঁদ পাতা হয়েছে। আপাতদৃষ্টিতে সে একা সাতজন জার্মান এর সাথে লড়াই করছে বা করতে সক্ষম। |
50 | সুকুমার রায়ের লেখা ছায়াবাজি কবিতার একটি অংশ নিচে দেওয়া হল:
আজগুবি নয়, আজগুবি নয়, সত্যিকারের কথা—
ছায়ার সাথে কুস্তি করে গাত্রে হল ব্যথা!
গায়ে ব্যাথা হল কি করে? | ছায়ার সঙ্গে কুস্তি করে গায়ে ব্যাথা হয়েছে। |
51 | সুকুমার রায়ের রচিত ছায়াবাজি কবিতার একটি অংশ নিচে দেওয়া হল:
শিশির _____ সদ্য ছায়া, সকাল বেলায় তাজা,
গ্রীষ্মকালে _____ ছায়া ভীষণ রোদে ভাজা।
প্রদত্ত বিকল্পগুলি থেকে সঠিক উত্তর বেছে নিয়ে শূন্যস্থান দুটি পূরণ করুন। শূন্যস্থানগুলি _____ দ্বারা নির্দেশিত হয়েছে।
(ক) দেওয়া, ঠান্ডা
(খ) ভেজা, শুকনো
(গ ) নেওয়া, বরফ
(ঘ) ওঠা, বসা | কবিতানুসারে সঠিক উত্তরটি হল: (খ) ভেজা, শুকনো |
52 | কুম্ড়োপটাশ সুকুমার রায়ের রচিত একটি কৌতুক কবিতা। এর একটি অংশ নিচে দেওয়া হল:
(যদি) কুম্ড়োপটাশ নাচে—
খবরদার এসো না কেউ আস্তাবলের কাছে;
চাইবে নাকো ডাইনে বাঁয়ে চাইবে নাকো পাছে;
চার পা তুলে থাকবে ঝুলে হট্টমূলার গাছে!
কুম্ড়োপটাশ নাচলে কোথায় যাওয়া উচিত নয়? কি করা উচিত? | কুম্ড়োপটাশ নাচলে আস্তাবলের কাছে যাওয়া উচিত নয়। চার পা তুলে হট্টমূলার গাছে ঝুলে থাকা উচিত। |
53 | কুম্ড়োপটাশ সুকুমার রায়ের লেখা একটি কৌতুক কবিতা। এর একটি অংশ নিচে দেওয়া হল:
(যদি) কুম্ড়োপটাশ হাসে—
থাকবে খাড়া একটি ঠ্যাঙে রান্নাঘরের পাশে;
ঝাপ্সা গলায় ফার্সি কবে নিশ্বাসে ফিস্ফাসে;
তিনটি বেলায় উপোশ করে থাকবে শুয়ে ঘাসে!
কুম্ড়োপটাশ হাসলে কি করণীয়? | কুম্ড়োপটাশ হাসলে রান্নাঘরের পাশে এক পায়ে দাঁড়িয়ে থাকা উচিত। ফিসফিস করে ফার্সি বলা উচিত। তদুপরি তিন বেলা উপোশ করে ঘাসের উপর শুয়ে থাকা উচিত। |
54 | চোর ধরা সুকুমার রায়ের লেখা একটি কৌতুক কবিতা। এর একটি অংশ নিচে দেওয়া হল:
আরে ছি ছি! রাম রাম! ব’লো না হে ব’লো না—
চল্ছে যা জুয়াচুরি, নাহি তার তুলনা।
যেই আমি দেই ঘুম টিফিনের আগেতে,
ভয়ানক ক’মে যায় খাবারের ভাগেতে!
এখানে কি চুরি যাওয়ার কথা বলা হয়েছে? | এখানে টিফিনের খাবার চুরি যাওয়ার কথা বলা হয়েছে। |
55 | চোর ধরা সুকুমার রায়ের লেখা একটি কৌতুক কবিতা। এর একটি অংশ নিচে দেওয়া হল:
পাঁচখানা কাট্লেট্, লুচি তিন গণ্ডা,
গোটা দুই জিবে গজা, গুটি দুই মণ্ডা,
আরো কত ছিল পাতে আলুভাজা ঘুঙ্নি—
ঘুম থেকে উঠে দেখি পাতখানা শূন্যি!
এখানে কোন কোন খাবারের নাম ও পরিমাণ উল্লেখ করা হয়েছে? | এখানে একাধিক খাবারের কথা বলা হয়েছে:
- কাট্লেট্: ৫টি
- লুচি: ৩ গণ্ডা (অর্থাৎ ১২টি)
- জিবে গজা: ২টি
- মণ্ডা: ২টি
এছাড়া আলুভাজা ও ঘুঙ্নির কথাও বলা হয়েছে। এগুলির পরিমাণ উল্লেখ করা নেই। |
56 | নিচের পংক্তিটি সুকুমার রায়ের লেখা কিম্ভূত কবিতা থেকে নেওয়া:
কোকিলের মতো তার কণ্ঠেতে _____ চাই,
প্রদত্ত বিকল্পগুলি থেকে সঠিক উত্তর বেছে নিয়ে শূন্যস্থান পূর্ণ করুন।
(১) সুর
(২) শুর
(৩) সূর
(৪) সুদূর | সঠিক উত্তরটি হল: (১) সুর |
57 | নিচের অংশটি সুকুমার রায়ের লেখা বুঝিয়ে বলা কবিতা থেকে নেওয়া:
ও শ্যামাদাস! আয় তো দেখি, বোস তো দেখি এখেনে,
সেই কথাটা বুঝিয়ে দেব পাঁচ মিনিটে, দেখে নে।
জ্বর হয়েছে? মিথ্যে কথা! ও-সব তোদের চালাকি—
এই যে বাবা চেচাঁচ্ছিলি, শুনতে পাই নি? কালা কি?
শ্যামাদাসের যে জ্বর হয়নি, এই সন্দেহের কারণ কি? | বক্তা শ্যামাদাসকে চেঁচাতে শুনেছেন, অতএব ওনার ধারণা যে শ্যামাদাস মিথ্যা কথা বলছে। |
58 | নিচের অংশটি সুকুমার রায়ের রচিত শব্দকল্পদ্রুম কবিতা থেকে নেওয়া:
ঠাস্ ঠাস্ দ্রুম্ দ্রাম্, শুনে লাগে খট্কা—
ফুল ফোটে? তাই বল! আমি ভাবি পট্কা!
উপরোক্ত অংশটির উপর ভিত্তি করে, ফুল ফোটার শব্দ কেমন হয়? | সুকুমার রায় একজন বিখ্যাত শিশু সাহিত্যিক ও কৌতুক কবি। আবোল তাবোল কাব্য সংকলনের কবিতাগুলো অবাস্তব, অদ্ভুত, ও হাস্যকর পরিস্থিতির বর্ণনা করে। শব্দকল্পদ্রুম তেমনি একটি কবিতা।
যদিও বাস্তবে ফুল ফোটার কোন শব্দ হয়না, কবি এখানে কল্পনা করেছেন যে ফুল ফোটার শব্দ পটকা বা বাজি ফাটার শব্দের মতনই জোরালো! |
59 | নিচের অংশটি সুকুমার রায়ের রচিত শব্দকল্পদ্রুম কবিতা থেকে নেওয়া:
হুড়মুড় ধুপ্ধাপ্— ওকি শুনি ভাই রে!
দেখ্ছ না হিম পড়ে— যেও নাকো বাইরে।
উপরোক্ত অংশটির উপর ভিত্তি করে, হিম পড়ার শব্দ বর্ণনা কর। | সুকুমার রায় একজন বিখ্যাত শিশু সাহিত্যিক এবং কৌতুক কবি। তাঁর আবোল তাবোল কাব্য সংকলনের কবিতাগুলো বহুবিধ অবাস্তব, অদ্ভুত, ও হাস্যকর পরিস্থিতির বর্ণনা করে। শব্দকল্পদ্রুম তেমনি একটি কবিতা।
বাস্তবে হিম পড়ার কোন শব্দ শোনা যায়না। কিন্তু কবি এখানে কল্পনা করেছেন যে হিম যেন হুড়মুড় ধুপ্ধাপ্ শব্দ করে পড়ে! |
60 | নিচের পংক্তিটি সুকুমার রায়ের রচিত বোম্বাগড়ের রাজা কবিতা থেকে নেওয়া:
কেউ কি জান সদাই কেন বোম্বাগড়ের রাজা—
ছবির ফ্রেমে বাঁধিয়ে রাখে আমসত্ত্ব ভাজা?
উপরোক্ত অংশ অনুযায়ী, বোম্বাগড়ের রাজা কি করেন? | বোম্বাগড়ের রাজা ছবির ফ্রেমে আমসত্ত্ব ভাজা বাঁধিয়ে রাখেন! |
61 | নিচের পংক্তিটি সুকুমার রায়ের রচিত বোম্বাগড়ের রাজা কবিতা থেকে নেওয়া:
সভায় কেন চেঁচায় রাজা ‘হুক্কা হুয়া’ ব’লে?
মন্ত্রী কেন কল্সী বাজায় ব’সে রাজার কোলে?
সিংহাসনে ঝোলায় কেন ভাঙা বোতল শিশি?
উপরোক্ত অংশ অনুযায়ী, রাজসভার একটি বর্ণনা দাও। | সুকুমার রায়ের আরেকটি কৌতুক কবিতা হল বোম্বাগড়ের রাজা। এখানে রাজা, তাঁর পরিবার ও রাজসভার অদ্ভুত কিছু কীর্তিকলাপ বর্ণনা করা হয়েছে।
বোম্বাগড়ের রাজার সিংহাসনে ভাঙা বোতল ও শিশি ঝোলান। মহারাজ স্বয়ং হুক্কা হুয়া বলে চেঁচান! অপরদিকে মন্ত্রী মশাই বোম্বাগড়ের রাজার কোলে বসে কল্সী বাজান! |
62 | সুকুমার রায়ের একুশে আইন কবিতার দুটি স্তবক নিচে দেওয়া হল:
শিব ঠাকুরের আপন দেশে,
আইন কানুন সর্বনেশে!
কেউ যদি যায় পিছ্লে প’ড়ে
প্যায়দা এসে পাক্ড়ে ধরে,
কাজির কাছে হয় বিচার—
একুশ টাকা দণ্ড তার॥
সেথায় সন্ধ্যা ছ’টার আগে,
হাঁচতে হ’লে টিকিট লাগে,
হাঁচ্লে পরে বিন্টিকিটে—
দম্দমাদম্ লাগায় পিঠে,
কোটাল এসে নস্যি ঝাড়ে—
একুশ দফা হাঁচিয়ে মারে॥
উপরোক্ত অংশ অনুযায়ী, নিম্নলিখিত বাক্যগুলো ঠিক না ভুল বল:
কেউ যদি হাঁচে, তার ২১ টাকা দণ্ড হয়। অন্যদিকে, কেউ যদি পিঁছলে পড়ে, তাকে ২১বার হাঁচতে হয়। | সুকুমার রায়ের একুশে আইন কবিতায় একটি কাল্পনিক দেশের অবাস্তব ও হাস্যকর কিছু আইনের বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। কবিতা অনুযায়ী, বাক্য দুটি ভুল। প্রথমতঃ হাঁচা সবসময় বেআইনি নয়। সন্ধ্যা ছ’টার আগে হাঁচতে গেলে টিকিট লাগে। টিকিট না থাকলে কোটাল এসে নস্যি দিয়ে ২১বার হাঁচিয়ে মারে। দ্বিতীয়তঃ কেউ যদি পিছ্লে পড়ে যায়, তার বিচার হয় এবং ২১ টাকা জরিমানা দিতে হয়। |
63 | সুকুমার রায়ের কি মুস্কিল কবিতার একটি লাইন নিচে দেওয়া হল:
কেমন ক’রে চাট্নি বানায়, কেমন ক’রে পোলাও করে,
এখানে কোন কোন খাদ্যের নাম উল্লেখ করা হয়েছে? | কবিতাটিতে পোলাও ও চাটনির কথা বলা হয়েছে। |
64 | সুকুমার রায়ের ডানপিটে কবিতার প্রথম স্তবকটি নিচে দেওয়া হল:
বাপ্ রে কি ডানপিটে ছেলে!—
কোন্ দিন ফাঁসি যাবে নয় যাবে জেলে।
একটা সে ভূত সেজে আঠা মেখে মুখে,
ঠাঁই ঠাঁই শিশি ভাঙে শ্লেট দিয়ে ঠুকে!
অন্যটা হামা দিয়ে আলমারি চড়ে,
খাট থেকে রাগ ক’রে দুম্দাম্ পড়ে!
এখানে কোন কোন শব্দের উল্লেখ করা হয়েছে? | কবিতা অনুযায়ী, একজন ডানপিটে ছেলে শিশি ভাঙে ঠাঁই ঠাঁই শব্দ করে। অপরদিকে, দ্বিতীয় ডানপিটে ছেলেটি খাট থেকে দুম্দাম্ শব্দ করে পরে যায়। |
65 | সুকুমার রায়ের রামগরুড়ের ছানা কবিতার একটি স্তবকটি নিচে দেওয়া হল:
সদাই মরে ত্রাসে— ওই বুঝি কেউ হাসে!
এক চোখে তাই মিটমিটিয়ে
তাকায় আশে _____।
প্রদত্ত বিকল্পগুলি থেকে সঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে শূন্যস্থান পূর্ণ কর।
(১) আকাশে (২) বাতাসে (৩) হাসে (৪) পাশে | এখানে সঠিক উত্তরটি হল: (৪) পাশে |
66 | সুকুমার রায়ের রামগরুড়ের ছানা কবিতার একটি স্তবকটি নিচে দেওয়া হল:
ঝোপের ধারে ধারে রাতের _____
জোনাক _____ আলোর তালে
হাসির ঠারে ঠারে।
প্রদত্ত বিকল্পগুলি থেকে সঠিক উত্তর বেছে নিয়ে শূন্যস্থানগুলি পূর্ণ কর। শূন্যস্থানগুলি _____ দ্বারা নির্দেশিত হয়েছে।
(১) আলোয়, ঘুমায় (২) অন্ধকারে, জ্বলে (৩) বাহারে, জলে (৪) অন্ধকারে, বলে | সঠিক উত্তরটি হল: (২) অন্ধকারে, জ্বলে |
67 | সুকুমার রায়ের হাত গণনা কবিতার প্রথম পংক্তিটি নিচে দেওয়া হল:
ও পাড়ার নন্দ গোঁসাই, আমাদের নন্দ খুড়ো,
প্রশ্ন: নন্দ খুড়োর আরেক নাম কি? | উত্তর: নন্দ খুড়োর আরেক নাম নন্দ গোঁসাই। |
68 | সুকুমার রায়ের গন্ধ বিচার কবিতার একটি অংশ নিচে দেওয়া হল:
সিংহাসনে বস্ল রাজা বাজল কাঁসর ঘণ্টা,
ছট্ফটিযে উঠল কেঁপে মন্ত্রীবুড়োর মনটা।
বল্লে রাজা, “মন্ত্রী তোমার জামায় কেন গন্ধ?”
মন্ত্রী বলে, “এসেন্স দিছি— গন্ধ তো নয় মন্দ!”
প্রশ্ন: মন্ত্রীর মন কেঁপে উঠল কেন? | উত্তর: মন্ত্রীমশাই এসেন্স লাগিয়ে রাজদরবারে এসেছেন। এসেন্সের গন্ধে মহারাজ কি প্রতিক্রিয়া জানাবেন তাই ভেবে তিনি চিন্তিত। |
69 | সুকুমার রায়ের গন্ধ বিচার কবিতার একটি অংশ নিচে দেওয়া হল:
রাজা বলেন, “মন্দ ভালো দেখুক শুঁকে বদ্যি,”
বদ্যি বলে, “আমার নাকে বেজায় হল সর্দি।”
রাজা হাঁকেন, “বোলাও তবে— রাম নারায়ণ পাত্র।”
পাত্র বলে, “নস্যি নিলাম এক্ষনি এইমাত্র—
নস্যি দিয়ে বন্ধ যে নাক গন্ধ কোথায় ঢুকবে?”
রাজা বলেন, “কোটাল তবে এগিয়ে এস, শুঁকবে।”
কোটাল বলে, “পান খেয়েছি মশলা তাহে কর্পূর,
গন্ধে তারি মুণ্ড আমার এক্কেবারে ভরপুর।”
উপরোক্ত অংশ অনুযায়ী, রাজা কাকে কাকে গন্ধ শোঁকার আদেশ দেন? | সুকুমার রায়ের গন্ধ বিচার একটি মজার কবিতা যেখানে রাজা তার মন্ত্রীর জামায় লাগানো এসেন্সের গন্ধ বিচার করছেন। প্রথমে তিনি রাজবৈদ্যকে গন্ধ শোঁকার নির্দেশ দেন। বৈদ্য সর্দি হয়েছে এই অজুহাত দিয়ে এড়িয়ে যান। এরপর রাম নারায়ণ পাত্রকে গন্ধ শুঁকতে নির্দেশ দেওয়া হয় কিন্তু তিনিও নস্যি নিয়েছেন বলে এড়িয়ে যান। এরপরে রাজা কোটালকে এই কাজ সম্পন্ন করতে বলেন। মশলা ও কর্পূর দেওয়া পান খাবার পারে পানের গন্ধে ভরপুর এবং তাই তিনি অন্য কোন গন্ধ পাবেন না, এই বলে কোটাল ও রাজার নির্দেশ এড়িয়ে যান। |
70 | সুকুমার রায়ের গন্ধ বিচার কবিতার একটি অংশ নিচে দেওয়া হল:
রাজা বলেন, “আসুক তবে শের পালোয়ান ভীমসিং,”
ভীম বলে “আজ কচ্ছে আমার সমস্ত গা ঝিম্ ঝিম্।
রাত্রে আমার বোখার হল বলছি হুজুর ঠিক বাৎ,”
ব’লেই শুল রাজসভাতে চক্ষু বুজে চিৎপাত।
উপরোক্ত অংশ অনুযায়ী, ভীমসিং কি গন্ধ শোঁকেন? | গন্ধ বিচার কবিতায় রাজা তার মন্ত্রীর জামা থেকে নির্গত এসেন্সের গন্ধ বিচার করছেন। একাধিক সভাসদ তাঁর নির্দেশ এড়িয়ে যাওয়ার পরে তিনি শের পালোয়ান ভীমসিংকে এগিয়ে আসতে বলেন। কিন্তু ভীমসিং অসুস্থতার অভিনয় করেন—রাতভর তার জ্বর! এই বলেই ভীমসিং মূর্ছা যান। অর্থাৎ, পালোয়ান ভীমসিং শোঁকেননি। |
71 | উপেন্দ্রকিশোর রায় চৌধুরীর লেখা "টুনটুনি আর বিড়ালের কথা" গল্পের একটি অংশ নিচে দেওয়া হল:
গৃহস্থের ঘরের পিছনে বেগুন গাছ আছে। সেই বেগুন গাছের পাতা ঠোঁট দিয়ে সেলাই করে টুনটুনি পাখিটি তার বাসা বেঁধেছে।
বাসার ভিতরে তিনটি ছোট্ট ছোট্ট ছানা হয়েছে। খুব ছোট্ট ছানা, তারা উড়তে পারে না, চোখও মেলতে পারে না। খালি হাঁ করে, আর চীঁ-চীঁ করে।
গৃহস্থের বিড়ালটা ভারী দুষ্টু। সে খালি ভাবে ‘টুনটুনির ছানা খাব।’ একদিন সে বেগুন গাছের তলায় এসে বললে, ‘কি করছিস লা টুনটুনি?’
টুনটুনি তার মাথা হেঁট করে বেগুন গাছের ডালে ঠেকিয়ে বললে, ‘প্রণাম হই, মহারানী!’
তাতে বিড়ালনী ভারি খুশি হয়ে চলে গেল।
উপরোক্ত লেখার উপর ভিত্তি করে প্রশ্নের উত্তর দিন: টুনটুনির কয়টি ছানা? | উপেন্দ্রকিশোর রায় চৌধুরীর লেখা টুনটুনি আর বিড়ালের কথা গল্পে টুনটুনির তিনটি ছোট্ট ছোট্ট ছানা হয়েছে। |
72 | উপেন্দ্রকিশোর রায় চৌধুরীর লেখা "টুনটুনি আর বিড়ালের কথা" গল্পের একটি অংশ নিচে দেওয়া হল:
গৃহস্থের ঘরের পিছনে বেগুন গাছ আছে। সেই বেগুন গাছের পাতা ঠোঁট দিয়ে সেলাই করে টুনটুনি পাখিটি তার বাসা বেঁধেছে।
বাসার ভিতরে তিনটি ছোট্ট ছোট্ট ছানা হয়েছে। খুব ছোট্ট ছানা, তারা উড়তে পারে না, চোখও মেলতে পারে না। খালি হাঁ করে, আর চীঁ-চীঁ করে।
গৃহস্থের বিড়ালটা ভারী দুষ্টু। সে খালি ভাবে ‘টুনটুনির ছানা খাব।’ একদিন সে বেগুন গাছের তলায় এসে বললে, ‘কি করছিস লা টুনটুনি?’
টুনটুনি তার মাথা হেঁট করে বেগুন গাছের ডালে ঠেকিয়ে বললে, ‘প্রণাম হই, মহারানী!’
তাতে বিড়ালনী ভারি খুশি হয়ে চলে গেল।
উপরোক্ত লেখার উপর ভিত্তি করে প্রশ্নের উত্তর দিন: টুনটুনি বিড়ালনীকে কি বলে সম্বোধন করে? | টুনটুনি আর বিড়ালের কথা গল্পে টুনটুনি বিড়ালকে মহারানী বলে সম্বোধন করে। |
73 | উপেন্দ্রকিশোর রায় চৌধুরীর লেখা "টুনটুনি আর বিড়ালের কথা" গল্পের একটি অংশ নিচে দেওয়া হল:
ছানারা তখনি উড়ে গিয়ে তাল গাছের ডালে গিয়ে বসল। তা দেখে টুনটুনি হেসে বললে, ‘এখন দুষ্ট বিড়াল আসুক দেখি!’
খানিক বাদেই বিড়াল এসে বললে, ‘কি করছিস লা টুনটুনি?’
তখন টুনটুনি পা উঠিয়ে তাকে লাথি দেখিয়ে বললে, ‘দূর হ, লক্ষ্মীছাড়া বিড়ালনী!’ বলেই সে ফুড়ুৎ করে উড়ে পালাল।
দুষ্টু বিড়াল দাঁত খিঁচিয়ে লাফিয়ে গাছে উঠে, টুনটুনিকেও ধরতে পারলে না, ছানাও খেতে পেলে না। খালি বেগুন কাঁটার খোঁচা খেয়ে নাকাল হয়ে ঘরে ফিরল।
উপরোক্ত লেখার উপর ভিত্তি করে প্রশ্নের উত্তর দিন: বিড়াল যখন টুনটুনিকে ধরতে যায়, টুনটুনির ছানারা তখন কোথায় ছিল? | টুনটুনির ছানারা ইতিমধ্যে উড়ে গিয়ে তাল গাছের ডালে গিয়ে বসেছে। ফলে বিড়াল যখন বেগুন গাছের উপরে উঠে ছানাদের শিকার করতে যায়, তাকে খালি হাতে ফিরে আসতে হয়। |
74 | নিচের অনুচ্ছেদটি উপেন্দ্রকিশোর রায় চৌধুরীর লেখা টুনটুনি আর রাজার কথা গল্প থেকে নেওয়া:
বলে তো রাজা চলে এসেছেন, আর রানিরা সাতজনে মিলে সেই পাখিটাকে দেখছেন।
একজন বললেন, ‘কি সুন্দর পাখি! আমার হাতে দাও তে একবার দেখি।’ বলে তিনি তাকে হাতে নিলেন। তা দেখে আবার আর একজন দেখতে চাইলেন। তাঁর হাত থেকে যখন আর একজন নিতে গেলেন, তখন টুনটুনি ফস্কে উড়ে পালাল!
উপরোক্ত লেখার উপর ভিত্তি করে প্রশ্নের উত্তর দিন: রাজার কয়জন রানী ছিল? | রাজার সাতজন রানী ছিল। |
75 | নিচের অনুচ্ছেদটি উপেন্দ্রকিশোর রায় চৌধুরীর লেখা নরহরি দাস গল্প থেকে নেওয়া:
ছাগলছানাটা ভারি বুদ্ধিমান ছিল, সে বললে—
লম্বা লম্বা দাড়ি
ঘন ঘন নাড়ি।
সিংহের মামা আমি নরহরি দাস।
পঞ্চাশ বাঘ মোর এক-এক গ্রাস।
শুনেই তো শিয়াল, ‘বাবা গো।’ বলেই সেখান থেকে দে ছুট! এমনি ছুট দিল যে একেবারে বাঘের ওখানে গিয়ে তবে সে নিশ্বাস ফেললে।
উপরোক্ত লেখার উপর ভিত্তি করে প্রশ্নের উত্তর দিন: ছাগলছানাটা কিভাবে নিজেকে শিয়ালের হাত থেকে বাঁচায়? | শিয়ালের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য ছাগলছানা নিজেকে নরহরি দাস বলে পরিচয় দেয় এবং তার চেহারার বিষদ বিবরণ দেয়। নরহরি দাসের লম্বা দাঁড়ি এবং ঘন নাড়ি। সে সিংহের মামা এবং একসাথে ৫০টি বাঘ খায়। এই শুনে শিয়াল ভয় পেয়ে পালিয়ে যায়। |
76 | উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর লেখা গুপি গাইন ও বাঘা বাইন গল্পের একটি অনুচ্ছেদ নিচে দেওয়া হলো:
গুপির আর বাঘার মনে এখন খুবই আনন্দ, তারা রাজাকে গান শোনাতে যাবে। দুজনে হাসতে হাসতে আর নাচতে নাচতে এক প্রকাণ্ড নদীর ধারে এসে উপস্থিত হল। সেই _____ পার হয়ে রাজবাড়ি যেতে হয়। নদীতে খেয়া আছে, কিন্ত নেয়ে পয়সা চায়। বেচারারা বন থেকে এসেছে, _____ কোথায় পাবে! তারা বলল, ‘ভাই আমাদের কাছে তো পয়সা-টয়সা নেই, আমরা না হয় তোমাদের গেয়ে _____ শোনাব, আমাদের পার করে দাও।’ তাতে খেয়ার চড়নদারেরা খুব খুশি হয়ে নেয়েকে বলল, ‘আমরা চাঁদা করে এদের পয়সা দেব, তুমি এদের তুলে নাও।’
প্রদত্ত বিকল্পগুলি থেকে সঠিক উত্তর বেছে নিয়ে শূন্যস্থানগুলি পূর্ণ কর।
(১) রাস্তা, খাদ্য, গান
(২) পাহাড়, রত্ন, কবিতা
(৩) গুহা, জল, গল্প
(৪) নদী, পয়সা, বাজিয়ে | সঠিক উত্তরটি হল: (৪) নদী, পয়সা, বাজিয়ে |
77 | গুপি গাইন ও বাঘা বাইন উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর লেখা একটি বিখ্যাত গল্প। সেখান থেকে দুটি অনুচ্ছেদ নিচে দেওয়া হলো:
ভূতগুলি কিন্তু তাদের কিছু করল না। তারা তাদের গানবাজনা শুনে ভারি খুশি হয়ে এসেছে, তাদের রাজার ছেলের বিয়েতে গুপি আর বাঘার বায়না করতে। _____ থামতে তারা নাকিসুরে বলল, ‘থামলি কেন বাপ? বাজা, বাজা, বাজা!’
এ কথায় গুপি আর বাঘার একটু সাহস হল। তারা ভাবল, ‘এ তো মন্দ মজা নয়, তবে একটু গেয়েই দেখি না।’ এই বলে যেই তারা আবার গান ধরেছে, অমনি ভূতেরা একজন দুজন করে গাছ থেকে নেমে এসে তাদের ঘিরে _____ লাগল।
প্রদত্ত বিকল্পগুলি থেকে সঠিক উত্তর বেছে নিয়ে শূন্যস্থানগুলি পূর্ণ কর।
(১) গান, নাচতে (২) বৃষ্টি, কাঁদতে (৩) আওয়াজ, নাচতে | সঠিক উত্তরটি হল: (১) গান, নাচতে |
78 | "গুপি গাইন ও বাঘা বাইন" উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর লেখা একটি বিখ্যাত গল্প। সেখান থেকে দুটি অনুচ্ছেদ নিচে দেওয়া হলো:
রাজবাড়ির অন্দরমহলে রাজামশাই ঘুমিয়ে আছেন, _____ তাঁর মাথার কাছে বসে তাঁকে হাওয়া করছেন, এমন সময় কথা নেই বার্তা নেই, গুপি আর _____ সেই সর্বনেশে ঢোল নিয়ে হঠাৎ গিয়ে উপস্থিত হল। জুতোর এমনি গুণ, দরজা জানালা সব _____ রয়েছে, তাতে তাদের একটুও আটকায়নি। কিন্তু আসবার বেলা আটকাক, আর নাই আটকাক, আসবার পরে খুবই আটকাল। রানি তাদের দেখে বিষম ভয় পেয়ে, এক চিৎকার দিয়ে তখনই অজ্ঞান হয়ে গেলেন। রাজামশাই লাফিয়ে উঠে পাগলের মতো ছুটোছুটি করতে লাগলেন। রাজবাড়িময় হুলস্থুলু পড়ে গেল। সিপাই সান্ত্রী সব খাঁড়া ঢাল নিয়ে ছুটে এল।
প্রদত্ত বিকল্পগুলি থেকে সঠিক উত্তর বেছে নিয়ে শূন্যস্থানগুলি পূর্ণ কর।
১. রাজা, গুপী, বন্ধ
২. রানি, বাঘা, বন্ধ
৩. রানী, গুপী, খোলা
৪. রানি, বাঘা, খোলা | সঠিক উত্তরটি হল: ২. রানি, বাঘা, বন্ধ |
79 | "গুপি গাইন ও বাঘা বাইন" উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর লেখা একটি বিখ্যাত গল্প। সেখান থেকে দুটি অনুচ্ছেদ নিচে দেওয়া হলো:
তখন খুব একটা ধুমধাম হল। গুপি আর বাঘা হাল্লার রাজার জামাই হয়ে আর শুণ্ডির অর্ধেক রাজ্য পেয়ে পরম আনন্দে _____ চর্চা করতে লাগল। গুপির মা-বাপের মান্য আর সুখ তখন দেখে কে?
প্রদত্ত বিকল্পগুলি থেকে সঠিক উত্তর বেছে নিয়ে শূন্যস্থানগুলি পূর্ণ কর।
১. সংগীতের ২. কবিতার ৩. রান্নার ৪. লেখার | সঠিক উত্তরটি হল: ১. সংগীতের |
80 | সুকান্ত ভট্টাচার্যের লেখা সিপাহী বিদ্রোহ কবিতার প্রথম দুটি পংক্তি নিচে দেওয়া হল:
হঠাৎ দেশে উঠল আওয়াজ— “হো-হো, হো-হো, হো-হো”
চমকে সবাই তাকিয়ে দেখে— সিপাহী বিদ্রোহ!
প্রশ্ন: এখানে সিপাহী বিদ্রোহ বলতে কি বোঝানো হয়েছে? | উত্তর: কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য এখানে ১৮৫৭ সালের সিপাহী বিদ্রোহের কথা উল্লেখ করেছেন। এই বিদ্রোহের সূত্রপাত পশ্চিমবঙ্গের ব্যারাকপুরের সেনানিবাসে, যেখানে ব্রিটিশ ভারতের দেশীয় সৈন্যরা ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেন। ক্রমশ এই বিদ্রোহ উত্তর ও মধ্য ভারতে ছড়িয়ে পড়েছিল। সিপাহী বিদ্রোহকে অনেক সময় ভারতের প্রথম স্বাধীনতা যুদ্ধ ও বলা হয়ে থাকে। সিপাহী বিদ্রোহ নির্মমভাবে দমন করা হয়। |
81 | সুকান্ত ভট্টাচার্যের লেখা সিপাহী বিদ্রোহ কবিতার দুটি পংক্তি নিচে দেওয়া হল:
ছেলে বুড়ো জেগে উঠল নব্বই সন আগে:
একশো বছর গোলামিতে সবাই তখন ক্ষিপ্ত,
এখানে কাদের গোলামির কথা বলা হয়েছে? | এখানে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসন ও গোলামির কথা বলা হয়েছে।
মুঘল শাসনের শেষদিকে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ভারতে বাণিজ্যের অনুমতি পায়। কিন্তু ১৭৫৭ সালে পলাশীর যুদ্ধে নবাব মির্জা মুহম্মদ সিরাজউদ্দৌলাকে পরাজিত করার পরে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বাংলার দখল নেয় এবং কার্যত ভারতে তাদের শাসন শুরু হয়। ১৭৫৭ থেকে ১৮৫৭, এই প্রায় একশ বছরের ব্রিটিশদের দাসত্বে ভারতবাসীরা অতিষ্ঠ—কবি এটাই বোঝাতে চেয়েছেন। |
82 | সুকান্ত ভট্টাচার্যের আঠারো বছর বয়স কবিতার প্রথম স্তবকটি নিচে দেওয়া হল। এর বিশ্লেষণ লেখ।
আঠারো বছর বয়স কী দুঃসহ
স্পর্ধায় নেয় মাথা তোলবার ঝুঁকি,
আঠারো বছর বয়সেই অহরহ
বিরাট দুঃসাহসেরা দেয় উঁকি।
আঠারো বছর বয়স সুকান্ত ভট্টাচার্যের অন্যতম বিখ্যাত কবিতা। | আঠারো বছর বয়স কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের অন্যতম বিখ্যাত কবিতা। এই কবিতায় কবি তারুণ্যের জয়গান গেয়েছেন।
আঠারো বছর বয়স কৈশোর ও প্রাপ্তবয়স্কের সন্ধিক্ষণ। পূর্ণবয়স্কের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে ঘটে শরীর ও মনের বিবর্তন। এই বয়সে যেন মানুষ দ্বিতীয়বার জন্ম নেয়। সামষ্টিকভাবে এসব কিছুর কারণে জীবন যেন দুঃসহ হয়ে পড়ে।
সাধারণত এই বয়সে মানুষের স্বাবলম্বী হওয়ার চেষ্টার সূত্রপাত হয়। এই বয়স গতানুগতিক পুরাতন চিন্তাভাবনা ও পদ্ধতির জাল থেকে নিষ্ক্রমণ ঘটায়, নতুন ও ভিন্নতার আকাঙ্ক্ষা রাখে। স্পর্ধা এবং ঝুঁকি, দুইয়েরই আভাস মেলে। এতদিনকার চিরপরিচিত গণ্ডির বাইরে দেখতে চাওয়ার চেষ্টা যেন দুঃসাহসের সমতুল্য। কিন্তু এই দুঃসাহসের জেরেই তরুণরা অসাধ্য সাধনের ক্ষমতা রাখে। |
83 | সুকান্ত ভট্টাচার্যের আঠারো বছর বয়স কবিতার দ্বিতীয় স্তবকটি নিচে দেওয়া হল:
আঠারো বছর বয়সের নেই ভয়
পদাঘাতে চায় ভাঙতে পাথর _____,
এ বয়সে কেউ মাথা নোয়াবার নয়—
_____ বছর বয়স জানে না কাঁদা।
প্রদত্ত বিকল্পগুলি থেকে সঠিক উত্তর বেছে নিয়ে শূন্যস্থানগুলি পূর্ণ কর। শূন্যস্থানগুলি _____ দ্বারা নির্দেশিত হয়েছে।
(ক) কাঠ, ঊনিশ (খ) রাস্তা, এগারো (গ) চিন্তা, একুশ (ঘ) বাধা, আঠারো | সঠিক উত্তর: (ঘ) বাধা, আঠারো |
84 | সুকান্ত ভট্টাচার্যের আঠারো বছর বয়স কবিতার তৃতীয় স্তবকটি নিচে দেওয়া হল:
এ বয়স জানে রক্তদানের _____
_____ বেগে স্টিমারের মতো চলে,
প্রাণ দেওয়া-নেওয়া ঝুলিটা থাকে না _____
সঁপে আত্মাকে _____ কোলাহলে।
প্রদত্ত বিকল্পগুলি থেকে সঠিক উত্তর বেছে নিয়ে শূন্যস্থানগুলি পূর্ণ কর।
(ক) পুণ্য, বাষ্পের, শূন্য, শপথের
(খ) কষ্ট, হওয়ার, পূর্ণ, আলোর
(গ) চেষ্টা, ঢেউয়ের, পরিত্যক্ত, প্রাণের | সঠিক উত্তর হল: (ক) পুণ্য, বাষ্পের, শূন্য, শপথের |
85 | সুকান্ত ভট্টাচার্যের আঠারো বছর বয়স কবিতার চতুর্থী স্তবকটি নিচে দেওয়া হল:
আঠারো বছর বয়স ভয়ঙ্কর
তাজা তাজা প্রাণে _____ _____,
এ বয়সে প্রাণ তীব্র আর প্রখর
এ বয়সে কানে আসে কত মন্ত্রণা।
প্রদত্ত বিকল্পগুলি থেকে সঠিক উত্তর বেছে নিয়ে শূন্যস্থানগুলি পূর্ণ কর।
(ক) অসহ্য, যন্ত্রণা
(খ) অসহ্য, জ্বালা
(গ) অসহ্য, তৃষ্ণা
(গ) অসহ্য, ভূমিকা | সঠিক উত্তর হল: (ক) অসহ্য, যন্ত্রণা |
86 | সুকান্ত ভট্টাচার্যের আঠারো বছর বয়স কবিতার নিম্নলিখিত স্তবকটির সংক্ষিপ্ত বিশ্লেষণ লেখ:
আঠারো বছর বয়স যে দুর্বার
পথে প্রান্তরে ছোটায় বহু তুফান,
দুর্যোগে হাল ঠিক মতো রাখা ভার
ক্ষত-বিক্ষত হয় সহস্র প্রাণ। | আঠারো বছর বয়সের তরুণেরা অপ্রতিরোধ্য, তারা এগিয়ে চলে দুর্বার গতিতে। ভীষণ ঝড়ে যেমন পৃথিবী লন্ডভন্ড হয়ে যায়, তেমনি তারা বৈপ্লবিক চিন্তাধারা ও কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে নবযুগের অভ্যুত্থান ঘটানোর চেষ্টায় লিপ্ত হয়। কিন্তু এই নতুন পথ সদা সহজ ও মসৃণ নয়। এই পথে চলতে চলতে কখনও ভুল হয়, কখনও থাকে পথভ্রষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা। আর এই ঠিক-ভুলের গোলকধাঁধায় ঘুরতে ঘুরতে প্রতিনিয়ত শতশত তরুণ প্রাণ-মন রক্তাক্ত ও ক্ষত-বিক্ষত হতে থাকে। |
87 | কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের আঠারো বছর বয়স কবিতার ষষ্ঠ স্তবকটি লেখ। | আঠারো বছর বয়সে আঘাত আসে
অবিশ্রান্ত; একে একে হয় জড়ো,
এ বয়স কালো লক্ষ দীর্ঘশ্বাসে
এ বয়স কাঁপে বেদনায় থরোথরো। |
88 | কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের আঠারো বছর বয়স কবিতার অন্তিম স্তবকটি লেখ। | এ বয়স জেনো ভীরু, কাপুরুষ নয়
পথ চলতে এ বয়স যায় না থেমে,
এ বয়সে তাই নেই কোনো সংশয়—
এ দেশের বুকে আঠারো আসুক নেমে॥ |
89 | কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের আঠারো বছর বয়স কবিতার সপ্তম স্তবকের প্রথম দুটি পংক্তি নিচে দেওয়া হল:
তবু আঠারোর শুনেছি জয়ধ্বনি,
এ বয়স বাঁচে দুর্যোগে আর ঝড়ে,
সম্পূর্ণ স্তবকটি লেখ। | তবু আঠারোর শুনেছি জয়ধ্বনি,
এ বয়স বাঁচে দুর্যোগে আর ঝড়ে,
বিপদের মুখে এ বয়স অগ্রণী
এ বয়স তবু নতুন কিছু তো করে। |
90 | "বাষ্পের বেগে স্টিমারের মতো চলে"—এখানে কি বোঝান হয়েছে? | উপরোক্ত পংক্তিটি কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের আঠারো বছর বয়স কবিতা থেকে নেওয়া। কবি আঠারো বছর বয়সের তরুণদের স্টিমারের সাথে তুলনা করেছেন। তরুণরা গতিশীল, সকল বাঁধা-বিপত্তি উপেক্ষা করে দুর্বার বেগে এগিয়ে চলে। স্টিমার যেমন দুর্ভেদ্য নদীর বুক চিরে যাত্রী পারাপারের কার্য্য সম্পন্ন করে, এক স্থান থেকে অন্য স্থানে পৌঁছে দেয়, তেমনি তরুণদের অদম্য গতি জীবন ও সমাজকে পরবর্তী পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষমতা ধরে। |
91 | "এ বয়স জানে রক্তদানের পুণ্য"—এখানে কি বোঝান হয়েছে? | উপরোক্ত পংক্তিটি কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের আঠারো বছর বয়স কবিতা থেকে নেওয়া।
আক্ষরিক অর্থে, রক্তদান জীবনদান। অর্থাৎ রক্তদান একটি পুণ্যবান কর্ম যার ফলস্বরূপ অন্য কেউ জীবন লাভ করেন। কিন্তু কবি এখানে বাক্যাংশটি বৃহত্তর অর্থে ব্যবহার করেছেন। কবি বোঝাতে চেয়েছেন যে তরুণরা অন্যের জন্য নিজেদের জীবন উৎসর্গ করে দিতে পারে। দেশ ও জাতির কল্যাণে তারা নিজেদের প্রাণের বলি দিতেও প্রস্তুত। এটা সম্ভব কারণ তরুণরা দুঃসাহসী, তারা নির্ভীক। যুগে যুগে তাদের এই পুণ্যের ফলস্বরূপ মানবজাতি এগিয়ে চলে। |
92 | কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের ছাড়পত্র কাব্যগ্রন্থের হে মহাজীবন কবিতাটি লেখ। | হে মহাজীবন
সুকান্ত ভট্টাচার্য
হে-মহাজীবন, আর এ কাব্য নয়
এবার কঠিন, কঠোর গদ্যে আনো,
পদ-লালিত্য-ঝঙ্কার মুছে যাক
গদ্যের কড়া হাতুড়িকে আজ হানো!
প্রয়োজন নেই, কবিতার স্নিগ্ধতা—
কবিতা তোমায় দিলাম আজকে ছুটি,
ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময়:
পূর্ণিমা-চাঁদ যেন ঝল্সানো রুটি॥ |
93 | সংক্ষেপে তাৎপর্য্য ব্যাখ্যা কর:
"ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময়:
পূর্ণিমা-চাঁদ যেন ঝল্সানো রুটি॥" | উপরোক্ত পংক্তিগুলি কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের হে মহাজীবন কবিতার অংশ।
জীবনধরণের মৌলিক চাহিদা হল খাদ্য। খাদ্য বিনা কোন প্রাণীই বাঁচতে পারেনা। একজন ক্ষুধার্ত ব্যক্তি, যার পক্ষে এই মৌলিক চাহিদা পূরণ করা দুরূহ, তার কাছে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য ও শিল্পের রসাস্বাদনের কোন অবকাশ নেই।
অন্নসংস্থানের হেতু মানুষ জীবিকা বেছে নেয়। যদি কেউ অন্নসংস্থান করতে অসমর্থ হয়, সে সম্ভবত কোন নিচু কাজ ও করতে বাধ্য হয়। অর্থাৎ ক্ষুধার্ত উদর রূঢ় বাস্তবকে প্রকট করে, যেখানে পূর্ণিমার বৃত্তাকার চাঁদ দেখলেও একখানি পোড়া রুটির কথা মনে পরে যায়। সাধারণত কবিতায় ছন্দ থাকে কিন্তু গদ্য ছন্দবিহীন। তেমনি, একজন ক্ষুধার্ত ব্যক্তির জীবনও ছন্দহীন গতিতে কোনরকমে চলতে থাকে। |
94 | রংধনুর সাতটি রং কি কি? | রংধনুর সাতটি রং হল: লাল, কমলা, হলুদ, সবুজ, নীল, নীলাভ বেগুনি এবং বেগুনি। |
95 | বাংলার ষড়ঋতু কি কি? | বাংলার ষড়ঋতু হল:
- গ্রীষ্ম (বৈশাখ থেকে জ্যৈষ্ঠ)
- বর্ষা (আষাঢ় থেকে শ্রাবণ)
- শরৎ (ভাদ্র থেকে আশ্বিন)
- হেমন্ত (কার্তিক থেকে অগ্রহায়ণ)
- শীত (পৌষ থেকে মাঘ)
- বসন্ত (ফাল্গুন থেকে চৈত্র) |
96 | সপ্তাহের সাতটি দিন কি কি? | সপ্তাহের সাতদিন হল: রবিবার, সোমবার, মঙ্গলবার, বুধবার, বৃহস্পতিবার, শুক্রবার ও শনিবার। |
97 | বাংলার কোন মাসে কোন ঋতু? একটি টেবিল হিসাবে দেখান। | বাংলার ঋতুগুলি হল:
| ঋতু | মাস |
| -------- | ------- |
| গ্রীষ্ম | বৈশাখ থেকে জ্যৈষ্ঠ |
| বর্ষা | আষাঢ় থেকে শ্রাবণ |
| শরৎ | ভাদ্র থেকে আশ্বিন |
| হেমন্ত | কার্তিক থেকে অগ্রহায়ণ |
| শীত | পৌষ থেকে মাঘ |
| বসন্ত | ফাল্গুন থেকে চৈত্র |
|
98 | বাংলা ক্যালেন্ডারের মাসগুলি ইংরেজি ক্যালেন্ডারের সাথে কীভাবে সম্পর্কিত? | সাধারণত বাংলা ক্যালেন্ডারে একটি মাস ইংরেজি ক্যালেন্ডার মাসের মাঝামাঝি থেকে শুরু হয় এবং পরবর্তী মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত প্রসারিত হয়। বাংলা ১৪৩১ সালের উপর ভিত্তি করে, মাসগুলি নীচের টেবিলে দেখানো হয়েছে।
| বাংলা মাস | English month |
| -------- | ------- |
| বৈশাখ | April 14 |
| জ্যৈষ্ঠ | May 15 |
| আষাঢ় | June 16 |
| শ্রাবণ | July 17 |
| ভাদ্র | August 18 |
| আশ্বিন | September 18 |
| কার্তিক | October 18 |
| অগ্রহায়ণ | November 17 |
| পৌষ | December 17 |
| মাঘ | January 15 |
| ফাল্গুন | February 14 |
| চৈত্র | March 15 |
উল্লেখ্য, ইংরেজি ক্যালেন্ডারের তারিখগুলো বিভিন্ন বাংলা বছরের জন্য সামান্য পরিবর্তিত হতে পারে। |
99 | দুর্গাপুরের প্রধান অঞ্চলগুলির পোস্টাল পিন কোড একটি টেবিল হিসাবে দেখান। | দুর্গাপুরের বিভিন্ন অঞ্চল ও তাদের পিন কোড নিচে দেখানো হয়েছে।
| পিন কোড | অঞ্চল |
| -------- | ------- |
| ৭১৩২০১ | দুর্গাপুর |
| ৭১৩২০২ | দুর্গাপুর কোক ওভেন কলোনী, দুর্গাপুর প্রজেক্ট বি জোন, দুর্গাপুর সি জোন |
| ৭১৩২০৩ | দুর্গাপুর স্টিল প্লান্ট, আমরাই, দুর্গাপুরের ডিএসপি এসবি ব্যুরো |
| ৭১৩২০৪ | বেনাচিতি বাজার, দুর্গাপুর স্টিল টাউন পশ্চিম |
| ৭১৩২০৫ | দুর্গাপুর স্টিল টাউন পূর্ব, ধবনি |
| ৭১৩২০৬ | দুর্গাপুর এবিএল টাউনশিপ, ফুলঝোড় |
| ৭১৩২০৭ | দুর্গাপুর থার্মাল পাওয়ার স্টেশন |
| ৭১৩২০৮ | দুর্গাপুর খাদ ইস্পাত প্রকল্প, দুর্গাপুরের এএসপি এসবি ব্যুরো |
| ৭১৩২০৯ | দুর্গাপুর এমজি এভিনিউ |
| ৭১৩২১০ | ভি.কে.নগর |
| ৭১৩২১১ | দুর্গাপার সগরভাঙ্গা কলোনী |
| ৭১৩২১২ | বিধাননগর |
| ৭১৩২১৩ | বেনাচিতি, ভিড়িঙ্গি |
| ৭১৩২১৪ | অমরাবতী, দুর্গাপুর সিআরপিএফ ক্যাম্প |
| ৭১৩২১৫ | অঙ্গদপুর, দুর্গাপুর ব্রিক ফিল্ড, দুর্গাপুর কেমিক্যালস |
| ৭১৩২১৬ | সিটি সেন্টার |
|
100 | দুর্গাপুর, খড়গপুর, কলকাতা এবং শিলিগুড়ির ভৌগলিক স্থানাঙ্ক (অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমাংশ) লিখুন। | নিচের টেবিলে শহরগুলির স্থানাঙ্ক দেখানো হল।
| শহর | ভৌগলিক স্থানাঙ্ক|
| -------- | ------- |
| দুর্গাপুর | ২৩.৫৫°উঃ ৮৭.৩২°পূঃ |
| খড়গপুর | ২২.৩৩°উঃ ৮৭.৩২°পূঃ |
| কলকাতা | ২২.৫৭°উঃ ৮৮.৩৬°পূঃ |
| শিলিগুড়ি | ২৬.৭১°উঃ ৮৮.৪৩°পূঃ | |