id
string
title
string
context
string
question
string
answers
sequence
1477
null
হিন্দুধর্ম এমনই একটি মূলধারার ধর্মবিশ্বাস যা একটি সুবিস্তৃত ভৌগোলিক ক্ষেত্রে এক বহুধাবিভক্ত জাতিগত ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের মধ্যে দিয়ে বিকাশলাভ করেছে। এই বিকাশলাভ সম্ভবপর হয়েছে মূলত দুটি পন্থায়: হিন্দুধর্মের পুরনো রীতিনীতির নবীকরণ এবং বহিরাগত রীতিনীতি ও সংস্কৃতি থেকে আত্মীকরণ। এর ফলে ধর্মীয় ক্ষেত্রে এক বিরাট বৈচিত্র্যময় সমাবেশ গড়ে উঠেছে। এই সমাবেশে যেমন স্থান পেয়েছে অসংখ্য ছোটো ছোটো আদিম ধর্মমত, তেমনই স্থান পেয়েছে সমগ্র উপমহাদেশে লক্ষাধিক মতাবলম্বী সমন্বিত প্রধান ধর্মসম্প্রদায়গুলিও। বৌদ্ধধর্ম বা জৈনধর্মের থেকে পৃথক ধর্মবিশ্বাসরূপে হিন্দুধর্মের পরিচিতিও তাই এই মতাবলম্বীদের অনুমোদনসাপেক্ষ বিষয়। হিন্দু ধর্মবিশ্বাসের প্রধান উপাদানগুলি হল: ধর্ম (নৈতিকতা/কর্তব্য), সংসার (জন্ম-মৃত্যু-পুনর্জন্মের চক্র), কর্ম (ক্রিয়া ও তার প্রতিক্রিয়া), মোক্ষ (সংসার থেকে মুক্তি) ও বিভিন্ন যোগ (ধর্মানুশীলনের পন্থা)। একেশ্বরবাদ, বহুদেববাদ, সর্বেশ্বরময়বাদ, অদ্বৈতবাদ, নাস্তিক্যবাদ – সকল প্রকার বিশ্বাসের সমাহার দেখা যায় হিন্দুধর্মে। তাই হিন্দুধর্মে ঈশ্বরধারণাটি অত্যন্ত জটিল। এই ধারণা মূলত নির্দিষ্ট কোনো ঐতিহ্য অথবা দর্শনের উপর নির্ভরশীল। কখনও কখনও হিন্দুধর্মকে হেনোথেইস্টিক ধর্ম (অর্থাৎ, বহু দেবতা অস্তিত্ব স্বীকার করার পাশাপাশি এক ঈশ্বরে বিশ্বাসী ধর্মব্যবস্থা) বলে উল্লেখ করা হয়। তবে এধরনের বর্গীকরণ অতিসরলীকরণের নামান্তর। হিন্দুরা বিশ্বাস করেন যে মানুষের আত্মা শাশ্বত। অদ্বৈত বেদান্তের ন্যায় অদ্বৈতবাদী/সর্বেশ্বরময়বাদী দর্শন অনুসারে, আত্মা সর্বশেষে পরমাত্মা ব্রহ্মে বিলীন হয়। এই কারণেই এই দর্শন অদ্বৈত দর্শন নামে পরিচিত। অদ্বৈত দর্শনের মতে, জীবনের উদ্দেশ্য হল আত্মা ও ব্রহ্মের অভিন্নতা অনুভব করা। উপনিষদে বলা হয়েছে, মানুষের পরমসত্ত্বা আত্মাকে যিনি ব্রহ্মের সঙ্গে অভিন্ন রূপে অনুভব করতে সক্ষম হন, তিনিই মোক্ষ বা মহামুক্তি লাভ করেন। দ্বৈত ও ভক্তিবাদী দর্শনে ব্রহ্মের উপর ব্যক্তিত্ব আরওপিত হয়েছে। এই মতানুসারে সম্প্রদায়বিশেষে তাকে বিষ্ণু, ব্রহ্মা, শিব বা শিবের অর্ধাঙ্গিনী রূপ শক্তি হিসেবে পূজা করা হয়। আত্মা এখানে ঈশ্বরের উপর নির্ভরশীল এবং মোক্ষ নির্ভরশীল ঈশ্বরের প্রতি প্রেম অথবা ঈশ্বরের অনুগ্রহের উপর। পরমসত্ত্বা রূপে ঈশ্বর হিন্দুধর্মে ঈশ্বর (প্রভু), ভগবান (পবিত্র ব্যক্তি) বা পরমেশ্বর (সর্বোচ্চ প্রভু) নামে আখ্যাত। অবশ্য ঈশ্বর শব্দের একাধিক ব্যাখ্যা রয়েছে। মীমাংসাবাদীরা ঈশ্বরে অবিশ্বাস করেন; আবার অদ্বৈতবাদীরা ব্রহ্ম ও ঈশ্বরকে অভিন্ন মনে করেন। অধিকাংশ বৈষ্ণব ঐতিহ্যে তিনি বিষ্ণু। বৈষ্ণব শাস্ত্রগুলি তাকে কৃষ্ণ বা কখনও কখনও স্বয়ং ভগবানের রূপে দর্শিয়েছে। আবার সাংখ্য দর্শন নাস্তিক্যবাদী মনোভাবাপন্ন। হিন্দুধর্মে দৈব ব্যক্তিত্বদের দেব (স্ত্রীলিঙ্গে দেবী) নামে অভিহিত করা হয়। বাংলায় দেবতা শব্দটি দেব শব্দের সমার্থক শব্দরূপে বহুল প্রচলিত। শব্দটির আক্ষরিক দৈব সত্ত্বা। আবার ইংরেজি ভাষায় শব্দটি গড শব্দের সমার্থক। হিন্দু সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হলেন হিন্দু দেবগণ।
হিন্দুধর্ম মতে কর্ম বলতে কি বোঝায়?
{ "text": [ "ক্রিয়া ও তার প্রতিক্রিয়া" ], "answer_start": [ 716 ] }
1478
null
হিন্দুধর্ম এমনই একটি মূলধারার ধর্মবিশ্বাস যা একটি সুবিস্তৃত ভৌগোলিক ক্ষেত্রে এক বহুধাবিভক্ত জাতিগত ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের মধ্যে দিয়ে বিকাশলাভ করেছে। এই বিকাশলাভ সম্ভবপর হয়েছে মূলত দুটি পন্থায়: হিন্দুধর্মের পুরনো রীতিনীতির নবীকরণ এবং বহিরাগত রীতিনীতি ও সংস্কৃতি থেকে আত্মীকরণ। এর ফলে ধর্মীয় ক্ষেত্রে এক বিরাট বৈচিত্র্যময় সমাবেশ গড়ে উঠেছে। এই সমাবেশে যেমন স্থান পেয়েছে অসংখ্য ছোটো ছোটো আদিম ধর্মমত, তেমনই স্থান পেয়েছে সমগ্র উপমহাদেশে লক্ষাধিক মতাবলম্বী সমন্বিত প্রধান ধর্মসম্প্রদায়গুলিও। বৌদ্ধধর্ম বা জৈনধর্মের থেকে পৃথক ধর্মবিশ্বাসরূপে হিন্দুধর্মের পরিচিতিও তাই এই মতাবলম্বীদের অনুমোদনসাপেক্ষ বিষয়। হিন্দু ধর্মবিশ্বাসের প্রধান উপাদানগুলি হল: ধর্ম (নৈতিকতা/কর্তব্য), সংসার (জন্ম-মৃত্যু-পুনর্জন্মের চক্র), কর্ম (ক্রিয়া ও তার প্রতিক্রিয়া), মোক্ষ (সংসার থেকে মুক্তি) ও বিভিন্ন যোগ (ধর্মানুশীলনের পন্থা)। একেশ্বরবাদ, বহুদেববাদ, সর্বেশ্বরময়বাদ, অদ্বৈতবাদ, নাস্তিক্যবাদ – সকল প্রকার বিশ্বাসের সমাহার দেখা যায় হিন্দুধর্মে। তাই হিন্দুধর্মে ঈশ্বরধারণাটি অত্যন্ত জটিল। এই ধারণা মূলত নির্দিষ্ট কোনো ঐতিহ্য অথবা দর্শনের উপর নির্ভরশীল। কখনও কখনও হিন্দুধর্মকে হেনোথেইস্টিক ধর্ম (অর্থাৎ, বহু দেবতা অস্তিত্ব স্বীকার করার পাশাপাশি এক ঈশ্বরে বিশ্বাসী ধর্মব্যবস্থা) বলে উল্লেখ করা হয়। তবে এধরনের বর্গীকরণ অতিসরলীকরণের নামান্তর। হিন্দুরা বিশ্বাস করেন যে মানুষের আত্মা শাশ্বত। অদ্বৈত বেদান্তের ন্যায় অদ্বৈতবাদী/সর্বেশ্বরময়বাদী দর্শন অনুসারে, আত্মা সর্বশেষে পরমাত্মা ব্রহ্মে বিলীন হয়। এই কারণেই এই দর্শন অদ্বৈত দর্শন নামে পরিচিত। অদ্বৈত দর্শনের মতে, জীবনের উদ্দেশ্য হল আত্মা ও ব্রহ্মের অভিন্নতা অনুভব করা। উপনিষদে বলা হয়েছে, মানুষের পরমসত্ত্বা আত্মাকে যিনি ব্রহ্মের সঙ্গে অভিন্ন রূপে অনুভব করতে সক্ষম হন, তিনিই মোক্ষ বা মহামুক্তি লাভ করেন। দ্বৈত ও ভক্তিবাদী দর্শনে ব্রহ্মের উপর ব্যক্তিত্ব আরওপিত হয়েছে। এই মতানুসারে সম্প্রদায়বিশেষে তাকে বিষ্ণু, ব্রহ্মা, শিব বা শিবের অর্ধাঙ্গিনী রূপ শক্তি হিসেবে পূজা করা হয়। আত্মা এখানে ঈশ্বরের উপর নির্ভরশীল এবং মোক্ষ নির্ভরশীল ঈশ্বরের প্রতি প্রেম অথবা ঈশ্বরের অনুগ্রহের উপর। পরমসত্ত্বা রূপে ঈশ্বর হিন্দুধর্মে ঈশ্বর (প্রভু), ভগবান (পবিত্র ব্যক্তি) বা পরমেশ্বর (সর্বোচ্চ প্রভু) নামে আখ্যাত। অবশ্য ঈশ্বর শব্দের একাধিক ব্যাখ্যা রয়েছে। মীমাংসাবাদীরা ঈশ্বরে অবিশ্বাস করেন; আবার অদ্বৈতবাদীরা ব্রহ্ম ও ঈশ্বরকে অভিন্ন মনে করেন। অধিকাংশ বৈষ্ণব ঐতিহ্যে তিনি বিষ্ণু। বৈষ্ণব শাস্ত্রগুলি তাকে কৃষ্ণ বা কখনও কখনও স্বয়ং ভগবানের রূপে দর্শিয়েছে। আবার সাংখ্য দর্শন নাস্তিক্যবাদী মনোভাবাপন্ন। হিন্দুধর্মে দৈব ব্যক্তিত্বদের দেব (স্ত্রীলিঙ্গে দেবী) নামে অভিহিত করা হয়। বাংলায় দেবতা শব্দটি দেব শব্দের সমার্থক শব্দরূপে বহুল প্রচলিত। শব্দটির আক্ষরিক দৈব সত্ত্বা। আবার ইংরেজি ভাষায় শব্দটি গড শব্দের সমার্থক। হিন্দু সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হলেন হিন্দু দেবগণ।
কারা বিশ্বাস করে মানুষের আত্মা চিরন্তন?
{ "text": [ "হিন্দুরা" ], "answer_start": [ 1213 ] }
1479
null
হিন্দুধর্ম এমনই একটি মূলধারার ধর্মবিশ্বাস যা একটি সুবিস্তৃত ভৌগোলিক ক্ষেত্রে এক বহুধাবিভক্ত জাতিগত ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের মধ্যে দিয়ে বিকাশলাভ করেছে। এই বিকাশলাভ সম্ভবপর হয়েছে মূলত দুটি পন্থায়: হিন্দুধর্মের পুরনো রীতিনীতির নবীকরণ এবং বহিরাগত রীতিনীতি ও সংস্কৃতি থেকে আত্মীকরণ। এর ফলে ধর্মীয় ক্ষেত্রে এক বিরাট বৈচিত্র্যময় সমাবেশ গড়ে উঠেছে। এই সমাবেশে যেমন স্থান পেয়েছে অসংখ্য ছোটো ছোটো আদিম ধর্মমত, তেমনই স্থান পেয়েছে সমগ্র উপমহাদেশে লক্ষাধিক মতাবলম্বী সমন্বিত প্রধান ধর্মসম্প্রদায়গুলিও। বৌদ্ধধর্ম বা জৈনধর্মের থেকে পৃথক ধর্মবিশ্বাসরূপে হিন্দুধর্মের পরিচিতিও তাই এই মতাবলম্বীদের অনুমোদনসাপেক্ষ বিষয়। হিন্দু ধর্মবিশ্বাসের প্রধান উপাদানগুলি হল: ধর্ম (নৈতিকতা/কর্তব্য), সংসার (জন্ম-মৃত্যু-পুনর্জন্মের চক্র), কর্ম (ক্রিয়া ও তার প্রতিক্রিয়া), মোক্ষ (সংসার থেকে মুক্তি) ও বিভিন্ন যোগ (ধর্মানুশীলনের পন্থা)। একেশ্বরবাদ, বহুদেববাদ, সর্বেশ্বরময়বাদ, অদ্বৈতবাদ, নাস্তিক্যবাদ – সকল প্রকার বিশ্বাসের সমাহার দেখা যায় হিন্দুধর্মে। তাই হিন্দুধর্মে ঈশ্বরধারণাটি অত্যন্ত জটিল। এই ধারণা মূলত নির্দিষ্ট কোনো ঐতিহ্য অথবা দর্শনের উপর নির্ভরশীল। কখনও কখনও হিন্দুধর্মকে হেনোথেইস্টিক ধর্ম (অর্থাৎ, বহু দেবতা অস্তিত্ব স্বীকার করার পাশাপাশি এক ঈশ্বরে বিশ্বাসী ধর্মব্যবস্থা) বলে উল্লেখ করা হয়। তবে এধরনের বর্গীকরণ অতিসরলীকরণের নামান্তর। হিন্দুরা বিশ্বাস করেন যে মানুষের আত্মা শাশ্বত। অদ্বৈত বেদান্তের ন্যায় অদ্বৈতবাদী/সর্বেশ্বরময়বাদী দর্শন অনুসারে, আত্মা সর্বশেষে পরমাত্মা ব্রহ্মে বিলীন হয়। এই কারণেই এই দর্শন অদ্বৈত দর্শন নামে পরিচিত। অদ্বৈত দর্শনের মতে, জীবনের উদ্দেশ্য হল আত্মা ও ব্রহ্মের অভিন্নতা অনুভব করা। উপনিষদে বলা হয়েছে, মানুষের পরমসত্ত্বা আত্মাকে যিনি ব্রহ্মের সঙ্গে অভিন্ন রূপে অনুভব করতে সক্ষম হন, তিনিই মোক্ষ বা মহামুক্তি লাভ করেন। দ্বৈত ও ভক্তিবাদী দর্শনে ব্রহ্মের উপর ব্যক্তিত্ব আরওপিত হয়েছে। এই মতানুসারে সম্প্রদায়বিশেষে তাকে বিষ্ণু, ব্রহ্মা, শিব বা শিবের অর্ধাঙ্গিনী রূপ শক্তি হিসেবে পূজা করা হয়। আত্মা এখানে ঈশ্বরের উপর নির্ভরশীল এবং মোক্ষ নির্ভরশীল ঈশ্বরের প্রতি প্রেম অথবা ঈশ্বরের অনুগ্রহের উপর। পরমসত্ত্বা রূপে ঈশ্বর হিন্দুধর্মে ঈশ্বর (প্রভু), ভগবান (পবিত্র ব্যক্তি) বা পরমেশ্বর (সর্বোচ্চ প্রভু) নামে আখ্যাত। অবশ্য ঈশ্বর শব্দের একাধিক ব্যাখ্যা রয়েছে। মীমাংসাবাদীরা ঈশ্বরে অবিশ্বাস করেন; আবার অদ্বৈতবাদীরা ব্রহ্ম ও ঈশ্বরকে অভিন্ন মনে করেন। অধিকাংশ বৈষ্ণব ঐতিহ্যে তিনি বিষ্ণু। বৈষ্ণব শাস্ত্রগুলি তাকে কৃষ্ণ বা কখনও কখনও স্বয়ং ভগবানের রূপে দর্শিয়েছে। আবার সাংখ্য দর্শন নাস্তিক্যবাদী মনোভাবাপন্ন। হিন্দুধর্মে দৈব ব্যক্তিত্বদের দেব (স্ত্রীলিঙ্গে দেবী) নামে অভিহিত করা হয়। বাংলায় দেবতা শব্দটি দেব শব্দের সমার্থক শব্দরূপে বহুল প্রচলিত। শব্দটির আক্ষরিক দৈব সত্ত্বা। আবার ইংরেজি ভাষায় শব্দটি গড শব্দের সমার্থক। হিন্দু সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হলেন হিন্দু দেবগণ।
হিন্দুধর্ম মতে সংসারের অপর অর্থ কি?
{ "text": [ "জন্ম-মৃত্যু-পুনর্জন্মের চক্র" ], "answer_start": [ 679 ] }
1480
null
হিন্দুধর্ম এমনই একটি মূলধারার ধর্মবিশ্বাস যা একটি সুবিস্তৃত ভৌগোলিক ক্ষেত্রে এক বহুধাবিভক্ত জাতিগত ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের মধ্যে দিয়ে বিকাশলাভ করেছে। এই বিকাশলাভ সম্ভবপর হয়েছে মূলত দুটি পন্থায়: হিন্দুধর্মের পুরনো রীতিনীতির নবীকরণ এবং বহিরাগত রীতিনীতি ও সংস্কৃতি থেকে আত্মীকরণ। এর ফলে ধর্মীয় ক্ষেত্রে এক বিরাট বৈচিত্র্যময় সমাবেশ গড়ে উঠেছে। এই সমাবেশে যেমন স্থান পেয়েছে অসংখ্য ছোটো ছোটো আদিম ধর্মমত, তেমনই স্থান পেয়েছে সমগ্র উপমহাদেশে লক্ষাধিক মতাবলম্বী সমন্বিত প্রধান ধর্মসম্প্রদায়গুলিও। বৌদ্ধধর্ম বা জৈনধর্মের থেকে পৃথক ধর্মবিশ্বাসরূপে হিন্দুধর্মের পরিচিতিও তাই এই মতাবলম্বীদের অনুমোদনসাপেক্ষ বিষয়। হিন্দু ধর্মবিশ্বাসের প্রধান উপাদানগুলি হল: ধর্ম (নৈতিকতা/কর্তব্য), সংসার (জন্ম-মৃত্যু-পুনর্জন্মের চক্র), কর্ম (ক্রিয়া ও তার প্রতিক্রিয়া), মোক্ষ (সংসার থেকে মুক্তি) ও বিভিন্ন যোগ (ধর্মানুশীলনের পন্থা)। একেশ্বরবাদ, বহুদেববাদ, সর্বেশ্বরময়বাদ, অদ্বৈতবাদ, নাস্তিক্যবাদ – সকল প্রকার বিশ্বাসের সমাহার দেখা যায় হিন্দুধর্মে। তাই হিন্দুধর্মে ঈশ্বরধারণাটি অত্যন্ত জটিল। এই ধারণা মূলত নির্দিষ্ট কোনো ঐতিহ্য অথবা দর্শনের উপর নির্ভরশীল। কখনও কখনও হিন্দুধর্মকে হেনোথেইস্টিক ধর্ম (অর্থাৎ, বহু দেবতা অস্তিত্ব স্বীকার করার পাশাপাশি এক ঈশ্বরে বিশ্বাসী ধর্মব্যবস্থা) বলে উল্লেখ করা হয়। তবে এধরনের বর্গীকরণ অতিসরলীকরণের নামান্তর। হিন্দুরা বিশ্বাস করেন যে মানুষের আত্মা শাশ্বত। অদ্বৈত বেদান্তের ন্যায় অদ্বৈতবাদী/সর্বেশ্বরময়বাদী দর্শন অনুসারে, আত্মা সর্বশেষে পরমাত্মা ব্রহ্মে বিলীন হয়। এই কারণেই এই দর্শন অদ্বৈত দর্শন নামে পরিচিত। অদ্বৈত দর্শনের মতে, জীবনের উদ্দেশ্য হল আত্মা ও ব্রহ্মের অভিন্নতা অনুভব করা। উপনিষদে বলা হয়েছে, মানুষের পরমসত্ত্বা আত্মাকে যিনি ব্রহ্মের সঙ্গে অভিন্ন রূপে অনুভব করতে সক্ষম হন, তিনিই মোক্ষ বা মহামুক্তি লাভ করেন। দ্বৈত ও ভক্তিবাদী দর্শনে ব্রহ্মের উপর ব্যক্তিত্ব আরওপিত হয়েছে। এই মতানুসারে সম্প্রদায়বিশেষে তাকে বিষ্ণু, ব্রহ্মা, শিব বা শিবের অর্ধাঙ্গিনী রূপ শক্তি হিসেবে পূজা করা হয়। আত্মা এখানে ঈশ্বরের উপর নির্ভরশীল এবং মোক্ষ নির্ভরশীল ঈশ্বরের প্রতি প্রেম অথবা ঈশ্বরের অনুগ্রহের উপর। পরমসত্ত্বা রূপে ঈশ্বর হিন্দুধর্মে ঈশ্বর (প্রভু), ভগবান (পবিত্র ব্যক্তি) বা পরমেশ্বর (সর্বোচ্চ প্রভু) নামে আখ্যাত। অবশ্য ঈশ্বর শব্দের একাধিক ব্যাখ্যা রয়েছে। মীমাংসাবাদীরা ঈশ্বরে অবিশ্বাস করেন; আবার অদ্বৈতবাদীরা ব্রহ্ম ও ঈশ্বরকে অভিন্ন মনে করেন। অধিকাংশ বৈষ্ণব ঐতিহ্যে তিনি বিষ্ণু। বৈষ্ণব শাস্ত্রগুলি তাকে কৃষ্ণ বা কখনও কখনও স্বয়ং ভগবানের রূপে দর্শিয়েছে। আবার সাংখ্য দর্শন নাস্তিক্যবাদী মনোভাবাপন্ন। হিন্দুধর্মে দৈব ব্যক্তিত্বদের দেব (স্ত্রীলিঙ্গে দেবী) নামে অভিহিত করা হয়। বাংলায় দেবতা শব্দটি দেব শব্দের সমার্থক শব্দরূপে বহুল প্রচলিত। শব্দটির আক্ষরিক দৈব সত্ত্বা। আবার ইংরেজি ভাষায় শব্দটি গড শব্দের সমার্থক। হিন্দু সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হলেন হিন্দু দেবগণ।
হিন্দুধর্ম মতে মোক্ষ বলতে কি বোঝায়?
{ "text": [ "সংসার থেকে মুক্তি" ], "answer_start": [ 752 ] }
1481
null
হিন্দুধর্ম বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন ধর্ম তবে হিন্দু নামটি আধুনিকালের দেওয়া। এর প্রাচীন নাম হল সনাতন ধর্ম। আবার এই ধর্ম বৈদিক ধর্ম নামেও পরিচিত। এই ধর্ম বেদ এর উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছিল। এ ধর্মত্ত্বের মূল কথা হল ঈশ্বরের অস্তিত্বেই সকল কিছুর অস্তিত্ব এবং সকল কিছুর মূলেই স্বয়ং ঈশ্বর। খ্রীস্টপূর্ব ৫৫০০-২৬০০ অব্দের দিকে যখন কিনা হাপ্পান যুগ ছিল ঠিক সেই সময়ই এ ধর্মের গোড়ার দিক। অনেকের মতে খ্রীস্টপূর্ব ১৫০০-৫০০ অব্দ। কিন্তু ইতিহাস বিশ্লেষকদের মতে আর্য (বা Aryan) জাতিগোষ্ঠি ইউরোপের মধ্য দিয়ে ইরান হয়ে ভারতে প্রবেশ করে খ্রীস্টপূর্ব ৩০০০-২৫০০ অব্দের মধ্যে, তারাই ভারতে বেদ চর্চা করতে থাকে এবং তারা সমগ্র ভারতে তা ছড়িয়ে দেয়। আর্য জাতিগোষ্ঠিরা অনেক নিয়ম কানুন মেনে চলত। তারা চারটি সম্প্রদায়ে বিভক্ত ছিল এরা হলঃ ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য এবং শূদ্র। এই সম্প্রদায়গুলো তৈরি করার অন্যতম কারণ হল কাজ ভাগ করে নেওয়া অর্থাৎ এক এক সম্প্রদায় এর লোক এক এক ধরনের কাজ করবে। অনেকের মতে হিন্দু শব্দটি আর্যদেরকে আফগানিস্তানের বাসিন্দা বা আফগানেরা দিয়েছে তারা সিন্দু নদের তীরবর্তী সনাতন ধর্মের সাধু সন্ন্যাসিদেরকে হিন্দু বলত, আর এই ভাবেই হিন্দু নামটি এসেছে। এই সনাতন ধর্মের সাধু সন্ন্যাসিরাই বেদ শ্রুতিবদ্ধ করেন অর্থাৎ ধ্যানের মাধ্যমে বেদ আয়ত্ত করেন। বেদ কোন একজন সাধু বা সন্ন্যাসির লব্ধকৃত নয়, বেদ হল বহু সাধু সন্ন্যাসিদের লব্ধকৃত এক মহান শ্রুতিবদ্ধ গ্রন্থ যা প্রথম অবস্থায় সবার মনে মনে ছিল পরে তাকে লিপিবদ্ধ করা হয়। বেদ এই লিঙ্কটির মাধ্যমে বেদ সম্পর্কে আরও জানতে পারবেন। তখন কার যুগে এই বেদের আধিপত্য ছিল ব্যাপক, অর্থাৎ সমাজের সকল কাজ বেদের মাধ্যমে চলত কারণ বেদে সমাজ চালানো, চিকিৎসা করা, গণনা করা এমন সব উপাদানই আছে।
হিন্দু ধর্মের আদি যুগ কখন ছিল?
{ "text": [ "হাপ্পান যুগ" ], "answer_start": [ 322 ] }
1482
null
হিন্দুধর্ম বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন ধর্ম তবে হিন্দু নামটি আধুনিকালের দেওয়া। এর প্রাচীন নাম হল সনাতন ধর্ম। আবার এই ধর্ম বৈদিক ধর্ম নামেও পরিচিত। এই ধর্ম বেদ এর উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছিল। এ ধর্মত্ত্বের মূল কথা হল ঈশ্বরের অস্তিত্বেই সকল কিছুর অস্তিত্ব এবং সকল কিছুর মূলেই স্বয়ং ঈশ্বর। খ্রীস্টপূর্ব ৫৫০০-২৬০০ অব্দের দিকে যখন কিনা হাপ্পান যুগ ছিল ঠিক সেই সময়ই এ ধর্মের গোড়ার দিক। অনেকের মতে খ্রীস্টপূর্ব ১৫০০-৫০০ অব্দ। কিন্তু ইতিহাস বিশ্লেষকদের মতে আর্য (বা Aryan) জাতিগোষ্ঠি ইউরোপের মধ্য দিয়ে ইরান হয়ে ভারতে প্রবেশ করে খ্রীস্টপূর্ব ৩০০০-২৫০০ অব্দের মধ্যে, তারাই ভারতে বেদ চর্চা করতে থাকে এবং তারা সমগ্র ভারতে তা ছড়িয়ে দেয়। আর্য জাতিগোষ্ঠিরা অনেক নিয়ম কানুন মেনে চলত। তারা চারটি সম্প্রদায়ে বিভক্ত ছিল এরা হলঃ ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য এবং শূদ্র। এই সম্প্রদায়গুলো তৈরি করার অন্যতম কারণ হল কাজ ভাগ করে নেওয়া অর্থাৎ এক এক সম্প্রদায় এর লোক এক এক ধরনের কাজ করবে। অনেকের মতে হিন্দু শব্দটি আর্যদেরকে আফগানিস্তানের বাসিন্দা বা আফগানেরা দিয়েছে তারা সিন্দু নদের তীরবর্তী সনাতন ধর্মের সাধু সন্ন্যাসিদেরকে হিন্দু বলত, আর এই ভাবেই হিন্দু নামটি এসেছে। এই সনাতন ধর্মের সাধু সন্ন্যাসিরাই বেদ শ্রুতিবদ্ধ করেন অর্থাৎ ধ্যানের মাধ্যমে বেদ আয়ত্ত করেন। বেদ কোন একজন সাধু বা সন্ন্যাসির লব্ধকৃত নয়, বেদ হল বহু সাধু সন্ন্যাসিদের লব্ধকৃত এক মহান শ্রুতিবদ্ধ গ্রন্থ যা প্রথম অবস্থায় সবার মনে মনে ছিল পরে তাকে লিপিবদ্ধ করা হয়। বেদ এই লিঙ্কটির মাধ্যমে বেদ সম্পর্কে আরও জানতে পারবেন। তখন কার যুগে এই বেদের আধিপত্য ছিল ব্যাপক, অর্থাৎ সমাজের সকল কাজ বেদের মাধ্যমে চলত কারণ বেদে সমাজ চালানো, চিকিৎসা করা, গণনা করা এমন সব উপাদানই আছে।
হিন্দুধর্ম আর কি নামে পরিচিত?
{ "text": [ "বৈদিক ধর্ম" ], "answer_start": [ 116 ] }
1483
null
হিন্দুধর্ম বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন ধর্ম তবে হিন্দু নামটি আধুনিকালের দেওয়া। এর প্রাচীন নাম হল সনাতন ধর্ম। আবার এই ধর্ম বৈদিক ধর্ম নামেও পরিচিত। এই ধর্ম বেদ এর উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছিল। এ ধর্মত্ত্বের মূল কথা হল ঈশ্বরের অস্তিত্বেই সকল কিছুর অস্তিত্ব এবং সকল কিছুর মূলেই স্বয়ং ঈশ্বর। খ্রীস্টপূর্ব ৫৫০০-২৬০০ অব্দের দিকে যখন কিনা হাপ্পান যুগ ছিল ঠিক সেই সময়ই এ ধর্মের গোড়ার দিক। অনেকের মতে খ্রীস্টপূর্ব ১৫০০-৫০০ অব্দ। কিন্তু ইতিহাস বিশ্লেষকদের মতে আর্য (বা Aryan) জাতিগোষ্ঠি ইউরোপের মধ্য দিয়ে ইরান হয়ে ভারতে প্রবেশ করে খ্রীস্টপূর্ব ৩০০০-২৫০০ অব্দের মধ্যে, তারাই ভারতে বেদ চর্চা করতে থাকে এবং তারা সমগ্র ভারতে তা ছড়িয়ে দেয়। আর্য জাতিগোষ্ঠিরা অনেক নিয়ম কানুন মেনে চলত। তারা চারটি সম্প্রদায়ে বিভক্ত ছিল এরা হলঃ ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য এবং শূদ্র। এই সম্প্রদায়গুলো তৈরি করার অন্যতম কারণ হল কাজ ভাগ করে নেওয়া অর্থাৎ এক এক সম্প্রদায় এর লোক এক এক ধরনের কাজ করবে। অনেকের মতে হিন্দু শব্দটি আর্যদেরকে আফগানিস্তানের বাসিন্দা বা আফগানেরা দিয়েছে তারা সিন্দু নদের তীরবর্তী সনাতন ধর্মের সাধু সন্ন্যাসিদেরকে হিন্দু বলত, আর এই ভাবেই হিন্দু নামটি এসেছে। এই সনাতন ধর্মের সাধু সন্ন্যাসিরাই বেদ শ্রুতিবদ্ধ করেন অর্থাৎ ধ্যানের মাধ্যমে বেদ আয়ত্ত করেন। বেদ কোন একজন সাধু বা সন্ন্যাসির লব্ধকৃত নয়, বেদ হল বহু সাধু সন্ন্যাসিদের লব্ধকৃত এক মহান শ্রুতিবদ্ধ গ্রন্থ যা প্রথম অবস্থায় সবার মনে মনে ছিল পরে তাকে লিপিবদ্ধ করা হয়। বেদ এই লিঙ্কটির মাধ্যমে বেদ সম্পর্কে আরও জানতে পারবেন। তখন কার যুগে এই বেদের আধিপত্য ছিল ব্যাপক, অর্থাৎ সমাজের সকল কাজ বেদের মাধ্যমে চলত কারণ বেদে সমাজ চালানো, চিকিৎসা করা, গণনা করা এমন সব উপাদানই আছে।
ঐতিহাসিকদের মতে আর্য জাতি কবে ভারতে প্রবেশ করেছিল?
{ "text": [ "খ্রীস্টপূর্ব ৩০০০-২৫০০ অব্দের" ], "answer_start": [ 513 ] }
1484
null
হিন্দুধর্ম বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন ধর্ম তবে হিন্দু নামটি আধুনিকালের দেওয়া। এর প্রাচীন নাম হল সনাতন ধর্ম। আবার এই ধর্ম বৈদিক ধর্ম নামেও পরিচিত। এই ধর্ম বেদ এর উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছিল। এ ধর্মত্ত্বের মূল কথা হল ঈশ্বরের অস্তিত্বেই সকল কিছুর অস্তিত্ব এবং সকল কিছুর মূলেই স্বয়ং ঈশ্বর। খ্রীস্টপূর্ব ৫৫০০-২৬০০ অব্দের দিকে যখন কিনা হাপ্পান যুগ ছিল ঠিক সেই সময়ই এ ধর্মের গোড়ার দিক। অনেকের মতে খ্রীস্টপূর্ব ১৫০০-৫০০ অব্দ। কিন্তু ইতিহাস বিশ্লেষকদের মতে আর্য (বা Aryan) জাতিগোষ্ঠি ইউরোপের মধ্য দিয়ে ইরান হয়ে ভারতে প্রবেশ করে খ্রীস্টপূর্ব ৩০০০-২৫০০ অব্দের মধ্যে, তারাই ভারতে বেদ চর্চা করতে থাকে এবং তারা সমগ্র ভারতে তা ছড়িয়ে দেয়। আর্য জাতিগোষ্ঠিরা অনেক নিয়ম কানুন মেনে চলত। তারা চারটি সম্প্রদায়ে বিভক্ত ছিল এরা হলঃ ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য এবং শূদ্র। এই সম্প্রদায়গুলো তৈরি করার অন্যতম কারণ হল কাজ ভাগ করে নেওয়া অর্থাৎ এক এক সম্প্রদায় এর লোক এক এক ধরনের কাজ করবে। অনেকের মতে হিন্দু শব্দটি আর্যদেরকে আফগানিস্তানের বাসিন্দা বা আফগানেরা দিয়েছে তারা সিন্দু নদের তীরবর্তী সনাতন ধর্মের সাধু সন্ন্যাসিদেরকে হিন্দু বলত, আর এই ভাবেই হিন্দু নামটি এসেছে। এই সনাতন ধর্মের সাধু সন্ন্যাসিরাই বেদ শ্রুতিবদ্ধ করেন অর্থাৎ ধ্যানের মাধ্যমে বেদ আয়ত্ত করেন। বেদ কোন একজন সাধু বা সন্ন্যাসির লব্ধকৃত নয়, বেদ হল বহু সাধু সন্ন্যাসিদের লব্ধকৃত এক মহান শ্রুতিবদ্ধ গ্রন্থ যা প্রথম অবস্থায় সবার মনে মনে ছিল পরে তাকে লিপিবদ্ধ করা হয়। বেদ এই লিঙ্কটির মাধ্যমে বেদ সম্পর্কে আরও জানতে পারবেন। তখন কার যুগে এই বেদের আধিপত্য ছিল ব্যাপক, অর্থাৎ সমাজের সকল কাজ বেদের মাধ্যমে চলত কারণ বেদে সমাজ চালানো, চিকিৎসা করা, গণনা করা এমন সব উপাদানই আছে।
হিন্দুধর্মের প্রাচীন নাম কি?
{ "text": [ "সনাতন ধর্ম" ], "answer_start": [ 92 ] }
1485
null
হিন্দুধর্ম বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন ধর্ম তবে হিন্দু নামটি আধুনিকালের দেওয়া। এর প্রাচীন নাম হল সনাতন ধর্ম। আবার এই ধর্ম বৈদিক ধর্ম নামেও পরিচিত। এই ধর্ম বেদ এর উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছিল। এ ধর্মত্ত্বের মূল কথা হল ঈশ্বরের অস্তিত্বেই সকল কিছুর অস্তিত্ব এবং সকল কিছুর মূলেই স্বয়ং ঈশ্বর। খ্রীস্টপূর্ব ৫৫০০-২৬০০ অব্দের দিকে যখন কিনা হাপ্পান যুগ ছিল ঠিক সেই সময়ই এ ধর্মের গোড়ার দিক। অনেকের মতে খ্রীস্টপূর্ব ১৫০০-৫০০ অব্দ। কিন্তু ইতিহাস বিশ্লেষকদের মতে আর্য (বা Aryan) জাতিগোষ্ঠি ইউরোপের মধ্য দিয়ে ইরান হয়ে ভারতে প্রবেশ করে খ্রীস্টপূর্ব ৩০০০-২৫০০ অব্দের মধ্যে, তারাই ভারতে বেদ চর্চা করতে থাকে এবং তারা সমগ্র ভারতে তা ছড়িয়ে দেয়। আর্য জাতিগোষ্ঠিরা অনেক নিয়ম কানুন মেনে চলত। তারা চারটি সম্প্রদায়ে বিভক্ত ছিল এরা হলঃ ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য এবং শূদ্র। এই সম্প্রদায়গুলো তৈরি করার অন্যতম কারণ হল কাজ ভাগ করে নেওয়া অর্থাৎ এক এক সম্প্রদায় এর লোক এক এক ধরনের কাজ করবে। অনেকের মতে হিন্দু শব্দটি আর্যদেরকে আফগানিস্তানের বাসিন্দা বা আফগানেরা দিয়েছে তারা সিন্দু নদের তীরবর্তী সনাতন ধর্মের সাধু সন্ন্যাসিদেরকে হিন্দু বলত, আর এই ভাবেই হিন্দু নামটি এসেছে। এই সনাতন ধর্মের সাধু সন্ন্যাসিরাই বেদ শ্রুতিবদ্ধ করেন অর্থাৎ ধ্যানের মাধ্যমে বেদ আয়ত্ত করেন। বেদ কোন একজন সাধু বা সন্ন্যাসির লব্ধকৃত নয়, বেদ হল বহু সাধু সন্ন্যাসিদের লব্ধকৃত এক মহান শ্রুতিবদ্ধ গ্রন্থ যা প্রথম অবস্থায় সবার মনে মনে ছিল পরে তাকে লিপিবদ্ধ করা হয়। বেদ এই লিঙ্কটির মাধ্যমে বেদ সম্পর্কে আরও জানতে পারবেন। তখন কার যুগে এই বেদের আধিপত্য ছিল ব্যাপক, অর্থাৎ সমাজের সকল কাজ বেদের মাধ্যমে চলত কারণ বেদে সমাজ চালানো, চিকিৎসা করা, গণনা করা এমন সব উপাদানই আছে।
বৈদিক সভ্যতায় কাদের প্রধান দেবতা ছিলেন ইন্দ্র, বরুণ, অগ্নি এবং সোম?
{ "text": [ "" ], "answer_start": [ null ] }
1486
null
হিন্দুধর্ম বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন ধর্ম তবে হিন্দু নামটি আধুনিকালের দেওয়া। এর প্রাচীন নাম হল সনাতন ধর্ম। আবার এই ধর্ম বৈদিক ধর্ম নামেও পরিচিত। এই ধর্ম বেদ এর উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছিল। এ ধর্মত্ত্বের মূল কথা হল ঈশ্বরের অস্তিত্বেই সকল কিছুর অস্তিত্ব এবং সকল কিছুর মূলেই স্বয়ং ঈশ্বর। খ্রীস্টপূর্ব ৫৫০০-২৬০০ অব্দের দিকে যখন কিনা হাপ্পান যুগ ছিল ঠিক সেই সময়ই এ ধর্মের গোড়ার দিক। অনেকের মতে খ্রীস্টপূর্ব ১৫০০-৫০০ অব্দ। কিন্তু ইতিহাস বিশ্লেষকদের মতে আর্য (বা Aryan) জাতিগোষ্ঠি ইউরোপের মধ্য দিয়ে ইরান হয়ে ভারতে প্রবেশ করে খ্রীস্টপূর্ব ৩০০০-২৫০০ অব্দের মধ্যে, তারাই ভারতে বেদ চর্চা করতে থাকে এবং তারা সমগ্র ভারতে তা ছড়িয়ে দেয়। আর্য জাতিগোষ্ঠিরা অনেক নিয়ম কানুন মেনে চলত। তারা চারটি সম্প্রদায়ে বিভক্ত ছিল এরা হলঃ ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য এবং শূদ্র। এই সম্প্রদায়গুলো তৈরি করার অন্যতম কারণ হল কাজ ভাগ করে নেওয়া অর্থাৎ এক এক সম্প্রদায় এর লোক এক এক ধরনের কাজ করবে। অনেকের মতে হিন্দু শব্দটি আর্যদেরকে আফগানিস্তানের বাসিন্দা বা আফগানেরা দিয়েছে তারা সিন্দু নদের তীরবর্তী সনাতন ধর্মের সাধু সন্ন্যাসিদেরকে হিন্দু বলত, আর এই ভাবেই হিন্দু নামটি এসেছে। এই সনাতন ধর্মের সাধু সন্ন্যাসিরাই বেদ শ্রুতিবদ্ধ করেন অর্থাৎ ধ্যানের মাধ্যমে বেদ আয়ত্ত করেন। বেদ কোন একজন সাধু বা সন্ন্যাসির লব্ধকৃত নয়, বেদ হল বহু সাধু সন্ন্যাসিদের লব্ধকৃত এক মহান শ্রুতিবদ্ধ গ্রন্থ যা প্রথম অবস্থায় সবার মনে মনে ছিল পরে তাকে লিপিবদ্ধ করা হয়। বেদ এই লিঙ্কটির মাধ্যমে বেদ সম্পর্কে আরও জানতে পারবেন। তখন কার যুগে এই বেদের আধিপত্য ছিল ব্যাপক, অর্থাৎ সমাজের সকল কাজ বেদের মাধ্যমে চলত কারণ বেদে সমাজ চালানো, চিকিৎসা করা, গণনা করা এমন সব উপাদানই আছে।
আর্যরা কয়টি সম্প্রদায়ে বিভক্ত ছিল?
{ "text": [ "চারটি সম্প্রদায়ে" ], "answer_start": [ 668 ] }
1487
null
হিন্দুধর্ম বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন ধর্ম তবে হিন্দু নামটি আধুনিকালের দেওয়া। এর প্রাচীন নাম হল সনাতন ধর্ম। আবার এই ধর্ম বৈদিক ধর্ম নামেও পরিচিত। এই ধর্ম বেদ এর উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছিল। এ ধর্মত্ত্বের মূল কথা হল ঈশ্বরের অস্তিত্বেই সকল কিছুর অস্তিত্ব এবং সকল কিছুর মূলেই স্বয়ং ঈশ্বর। খ্রীস্টপূর্ব ৫৫০০-২৬০০ অব্দের দিকে যখন কিনা হাপ্পান যুগ ছিল ঠিক সেই সময়ই এ ধর্মের গোড়ার দিক। অনেকের মতে খ্রীস্টপূর্ব ১৫০০-৫০০ অব্দ। কিন্তু ইতিহাস বিশ্লেষকদের মতে আর্য (বা Aryan) জাতিগোষ্ঠি ইউরোপের মধ্য দিয়ে ইরান হয়ে ভারতে প্রবেশ করে খ্রীস্টপূর্ব ৩০০০-২৫০০ অব্দের মধ্যে, তারাই ভারতে বেদ চর্চা করতে থাকে এবং তারা সমগ্র ভারতে তা ছড়িয়ে দেয়। আর্য জাতিগোষ্ঠিরা অনেক নিয়ম কানুন মেনে চলত। তারা চারটি সম্প্রদায়ে বিভক্ত ছিল এরা হলঃ ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য এবং শূদ্র। এই সম্প্রদায়গুলো তৈরি করার অন্যতম কারণ হল কাজ ভাগ করে নেওয়া অর্থাৎ এক এক সম্প্রদায় এর লোক এক এক ধরনের কাজ করবে। অনেকের মতে হিন্দু শব্দটি আর্যদেরকে আফগানিস্তানের বাসিন্দা বা আফগানেরা দিয়েছে তারা সিন্দু নদের তীরবর্তী সনাতন ধর্মের সাধু সন্ন্যাসিদেরকে হিন্দু বলত, আর এই ভাবেই হিন্দু নামটি এসেছে। এই সনাতন ধর্মের সাধু সন্ন্যাসিরাই বেদ শ্রুতিবদ্ধ করেন অর্থাৎ ধ্যানের মাধ্যমে বেদ আয়ত্ত করেন। বেদ কোন একজন সাধু বা সন্ন্যাসির লব্ধকৃত নয়, বেদ হল বহু সাধু সন্ন্যাসিদের লব্ধকৃত এক মহান শ্রুতিবদ্ধ গ্রন্থ যা প্রথম অবস্থায় সবার মনে মনে ছিল পরে তাকে লিপিবদ্ধ করা হয়। বেদ এই লিঙ্কটির মাধ্যমে বেদ সম্পর্কে আরও জানতে পারবেন। তখন কার যুগে এই বেদের আধিপত্য ছিল ব্যাপক, অর্থাৎ সমাজের সকল কাজ বেদের মাধ্যমে চলত কারণ বেদে সমাজ চালানো, চিকিৎসা করা, গণনা করা এমন সব উপাদানই আছে।
কোন সভ্যতায় হিন্দুদের প্রধান দেবতা ছিলেন ইন্দ্র, বরুণ, অগ্নি এবং সোম ?
{ "text": [ "" ], "answer_start": [ null ] }
1488
null
১০ মে ১৮৫৭ সাল। ঐদিন মিরাটে ভারতীয় বিদ্রোহের সূচনা ঘটে। চারদিকে গুজব ছড়িয়ে পড়ে যে, লি ইনফিল্ড রাইফেলের আচ্ছাদনে শুকরের মাংস এবং গরুর চর্বি ব্যবহার করা হয়। এরপরও ব্রিটিশ শাসকগোষ্ঠী রাইফেলে শুকরের মাংস এবং গরুর চর্বির ব্যবহার অব্যাহত রাখে। তারা বিবৃতি দেয় যে, যারা উক্ত রাইফেল ব্যবহারে অসম্মতি জানাবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। এবং আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতেও শুরু করে ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ। এই বিদ্রোহে সিপাহীরা অনেক ব্রিটিশ সৈন্যসহ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীতে নিযুক্ত কর্মকর্তাদেরকে হত্যা করে। ঐ সময়ে লক্ষ্মী বাঈ তার বাহিনীকে নিরাপদে ও অক্ষত অবস্থায় ঝাঁসী ত্যাগ করাতে পেরেছিলেন। সমগ্র ভারতবর্ষব্যাপী প্রবল গণআন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। এই চরম মুহুর্তে ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ অন্যত্র মনোযোগের চেষ্টা চালায়। লক্ষ্মী বাঈ একাকী ঝাঁসী ত্যাগ করেন। তার নেতৃত্বে ঝাঁসী শান্ত ও শান্তিপূর্ণ অবস্থা বজায় রয়েছিল। হলদী-কুমকুম অনুষ্ঠানে ঝাঁসীর রমণীরা শপথ গ্রহণ করেছিল যে, যে-কোন আক্রমণকেই তারা মোকাবেলা করবে এবং প্রতিপক্ষের আক্রমণকে তারা ভয় পায় না।
লক্ষ্মীবাই তাঁর বাহিনীকে কোথা থেকে নিরাপদ এবং অক্ষত অবস্থায় বের করতে সক্ষম হন ?
{ "text": [ "ঝাঁসী" ], "answer_start": [ 572 ] }
1489
null
১০ মে ১৮৫৭ সাল। ঐদিন মিরাটে ভারতীয় বিদ্রোহের সূচনা ঘটে। চারদিকে গুজব ছড়িয়ে পড়ে যে, লি ইনফিল্ড রাইফেলের আচ্ছাদনে শুকরের মাংস এবং গরুর চর্বি ব্যবহার করা হয়। এরপরও ব্রিটিশ শাসকগোষ্ঠী রাইফেলে শুকরের মাংস এবং গরুর চর্বির ব্যবহার অব্যাহত রাখে। তারা বিবৃতি দেয় যে, যারা উক্ত রাইফেল ব্যবহারে অসম্মতি জানাবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। এবং আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতেও শুরু করে ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ। এই বিদ্রোহে সিপাহীরা অনেক ব্রিটিশ সৈন্যসহ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীতে নিযুক্ত কর্মকর্তাদেরকে হত্যা করে। ঐ সময়ে লক্ষ্মী বাঈ তার বাহিনীকে নিরাপদে ও অক্ষত অবস্থায় ঝাঁসী ত্যাগ করাতে পেরেছিলেন। সমগ্র ভারতবর্ষব্যাপী প্রবল গণআন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। এই চরম মুহুর্তে ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ অন্যত্র মনোযোগের চেষ্টা চালায়। লক্ষ্মী বাঈ একাকী ঝাঁসী ত্যাগ করেন। তার নেতৃত্বে ঝাঁসী শান্ত ও শান্তিপূর্ণ অবস্থা বজায় রয়েছিল। হলদী-কুমকুম অনুষ্ঠানে ঝাঁসীর রমণীরা শপথ গ্রহণ করেছিল যে, যে-কোন আক্রমণকেই তারা মোকাবেলা করবে এবং প্রতিপক্ষের আক্রমণকে তারা ভয় পায় না।
কোন অনুষ্ঠানে ঝাঁসির মহিলারা শপথ নিয়েছিলেন যে তারা যেকোনো আক্রমণের মুখোমুখি হবে ?
{ "text": [ "হলদী-কুমকুম অনুষ্ঠানে" ], "answer_start": [ 810 ] }
1490
null
১০ মে ১৮৫৭ সাল। ঐদিন মিরাটে ভারতীয় বিদ্রোহের সূচনা ঘটে। চারদিকে গুজব ছড়িয়ে পড়ে যে, লি ইনফিল্ড রাইফেলের আচ্ছাদনে শুকরের মাংস এবং গরুর চর্বি ব্যবহার করা হয়। এরপরও ব্রিটিশ শাসকগোষ্ঠী রাইফেলে শুকরের মাংস এবং গরুর চর্বির ব্যবহার অব্যাহত রাখে। তারা বিবৃতি দেয় যে, যারা উক্ত রাইফেল ব্যবহারে অসম্মতি জানাবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। এবং আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতেও শুরু করে ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ। এই বিদ্রোহে সিপাহীরা অনেক ব্রিটিশ সৈন্যসহ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীতে নিযুক্ত কর্মকর্তাদেরকে হত্যা করে। ঐ সময়ে লক্ষ্মী বাঈ তার বাহিনীকে নিরাপদে ও অক্ষত অবস্থায় ঝাঁসী ত্যাগ করাতে পেরেছিলেন। সমগ্র ভারতবর্ষব্যাপী প্রবল গণআন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। এই চরম মুহুর্তে ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ অন্যত্র মনোযোগের চেষ্টা চালায়। লক্ষ্মী বাঈ একাকী ঝাঁসী ত্যাগ করেন। তার নেতৃত্বে ঝাঁসী শান্ত ও শান্তিপূর্ণ অবস্থা বজায় রয়েছিল। হলদী-কুমকুম অনুষ্ঠানে ঝাঁসীর রমণীরা শপথ গ্রহণ করেছিল যে, যে-কোন আক্রমণকেই তারা মোকাবেলা করবে এবং প্রতিপক্ষের আক্রমণকে তারা ভয় পায় না।
কত সালে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কর্মকর্তাসহ তার স্ত্রী ও সন্তানদের হত্যা করা হয়েছিল?
{ "text": [ "" ], "answer_start": [ null ] }
1491
null
১০ মে ১৮৫৭ সাল। ঐদিন মিরাটে ভারতীয় বিদ্রোহের সূচনা ঘটে। চারদিকে গুজব ছড়িয়ে পড়ে যে, লি ইনফিল্ড রাইফেলের আচ্ছাদনে শুকরের মাংস এবং গরুর চর্বি ব্যবহার করা হয়। এরপরও ব্রিটিশ শাসকগোষ্ঠী রাইফেলে শুকরের মাংস এবং গরুর চর্বির ব্যবহার অব্যাহত রাখে। তারা বিবৃতি দেয় যে, যারা উক্ত রাইফেল ব্যবহারে অসম্মতি জানাবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। এবং আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতেও শুরু করে ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ। এই বিদ্রোহে সিপাহীরা অনেক ব্রিটিশ সৈন্যসহ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীতে নিযুক্ত কর্মকর্তাদেরকে হত্যা করে। ঐ সময়ে লক্ষ্মী বাঈ তার বাহিনীকে নিরাপদে ও অক্ষত অবস্থায় ঝাঁসী ত্যাগ করাতে পেরেছিলেন। সমগ্র ভারতবর্ষব্যাপী প্রবল গণআন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। এই চরম মুহুর্তে ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ অন্যত্র মনোযোগের চেষ্টা চালায়। লক্ষ্মী বাঈ একাকী ঝাঁসী ত্যাগ করেন। তার নেতৃত্বে ঝাঁসী শান্ত ও শান্তিপূর্ণ অবস্থা বজায় রয়েছিল। হলদী-কুমকুম অনুষ্ঠানে ঝাঁসীর রমণীরা শপথ গ্রহণ করেছিল যে, যে-কোন আক্রমণকেই তারা মোকাবেলা করবে এবং প্রতিপক্ষের আক্রমণকে তারা ভয় পায় না।
মীরাটে বিদ্রোহ কোন সালে শুরু হয়েছিল ?
{ "text": [ "১৮৫৭ সাল" ], "answer_start": [ 6 ] }
1492
null
১০ মে ১৮৫৭ সাল। ঐদিন মিরাটে ভারতীয় বিদ্রোহের সূচনা ঘটে। চারদিকে গুজব ছড়িয়ে পড়ে যে, লি ইনফিল্ড রাইফেলের আচ্ছাদনে শুকরের মাংস এবং গরুর চর্বি ব্যবহার করা হয়। এরপরও ব্রিটিশ শাসকগোষ্ঠী রাইফেলে শুকরের মাংস এবং গরুর চর্বির ব্যবহার অব্যাহত রাখে। তারা বিবৃতি দেয় যে, যারা উক্ত রাইফেল ব্যবহারে অসম্মতি জানাবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। এবং আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতেও শুরু করে ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ। এই বিদ্রোহে সিপাহীরা অনেক ব্রিটিশ সৈন্যসহ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীতে নিযুক্ত কর্মকর্তাদেরকে হত্যা করে। ঐ সময়ে লক্ষ্মী বাঈ তার বাহিনীকে নিরাপদে ও অক্ষত অবস্থায় ঝাঁসী ত্যাগ করাতে পেরেছিলেন। সমগ্র ভারতবর্ষব্যাপী প্রবল গণআন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। এই চরম মুহুর্তে ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ অন্যত্র মনোযোগের চেষ্টা চালায়। লক্ষ্মী বাঈ একাকী ঝাঁসী ত্যাগ করেন। তার নেতৃত্বে ঝাঁসী শান্ত ও শান্তিপূর্ণ অবস্থা বজায় রয়েছিল। হলদী-কুমকুম অনুষ্ঠানে ঝাঁসীর রমণীরা শপথ গ্রহণ করেছিল যে, যে-কোন আক্রমণকেই তারা মোকাবেলা করবে এবং প্রতিপক্ষের আক্রমণকে তারা ভয় পায় না।
এনফিল্ড রাইফেল ঢাকা দেওয়া জন্য কোন পশুদের মাংসের চর্বি ব্যবহৃত হয়েছে বলে গুজব ছড়ায় ?
{ "text": [ "শুকরের মাংস এবং গরুর চর্বি" ], "answer_start": [ 114 ] }
1493
null
১০ মে ১৮৫৭ সাল। ঐদিন মিরাটে ভারতীয় বিদ্রোহের সূচনা ঘটে। চারদিকে গুজব ছড়িয়ে পড়ে যে, লি ইনফিল্ড রাইফেলের আচ্ছাদনে শুকরের মাংস এবং গরুর চর্বি ব্যবহার করা হয়। এরপরও ব্রিটিশ শাসকগোষ্ঠী রাইফেলে শুকরের মাংস এবং গরুর চর্বির ব্যবহার অব্যাহত রাখে। তারা বিবৃতি দেয় যে, যারা উক্ত রাইফেল ব্যবহারে অসম্মতি জানাবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। এবং আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতেও শুরু করে ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ। এই বিদ্রোহে সিপাহীরা অনেক ব্রিটিশ সৈন্যসহ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীতে নিযুক্ত কর্মকর্তাদেরকে হত্যা করে। ঐ সময়ে লক্ষ্মী বাঈ তার বাহিনীকে নিরাপদে ও অক্ষত অবস্থায় ঝাঁসী ত্যাগ করাতে পেরেছিলেন। সমগ্র ভারতবর্ষব্যাপী প্রবল গণআন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। এই চরম মুহুর্তে ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ অন্যত্র মনোযোগের চেষ্টা চালায়। লক্ষ্মী বাঈ একাকী ঝাঁসী ত্যাগ করেন। তার নেতৃত্বে ঝাঁসী শান্ত ও শান্তিপূর্ণ অবস্থা বজায় রয়েছিল। হলদী-কুমকুম অনুষ্ঠানে ঝাঁসীর রমণীরা শপথ গ্রহণ করেছিল যে, যে-কোন আক্রমণকেই তারা মোকাবেলা করবে এবং প্রতিপক্ষের আক্রমণকে তারা ভয় পায় না।
কত সালে স্যার হিউজেস রোজের কমান্ডের অধীনে ব্রিটিশ সৈন্যরা ঝাঁসি ঘেরাও করেছিল?
{ "text": [ "" ], "answer_start": [ null ] }
1494
null
১৩১২ সালে, গোয়া দিল্লী সুলতানাত শাসনের অধীনে এসেছিল। এই অঞ্চলের রাজত্বের দৃঢ়তা ছিল দুর্বল, এবং ১৩৭০ খ্রিষ্টাব্দে এটি বিজয়নগর সাম্রাজ্যের হরিহর আমিকে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়। ১৪৬৯ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত বিজয়নগর সাম্রাজ্যের অঞ্চলটি অনুষ্ঠিত হয়, যখন এটি গুড়গুড়ীর বাহমানি সুলতানদের দ্বারা শাসিত হয়েছিল। এই রাজবংশের পতনের পরে, এলাকাটি বেজাপুরের আদিল শাহের হাতে পড়ে, যারা পর্তুগীজদের ভলহা গোয়া (বা পুরাতন গোয়া) নামে পরিচিত তাদের অক্জিলিয়ারী রাজধানী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৫১০ খ্রিষ্টাব্দে, পর্তুগিজরা ক্ষমতাসীন বেজাপুর সুলতান ইউসুফ আদিল শাহকে স্থানীয় মিত্র টিমাইয়া সাহায্যে পরাজিত করে। তারা Velha গোয়া একটি স্থায়ী বাস্তু সেট আপ এটি গোয়াতে পর্তুগিজ শাসনের শুরুতে ছিল, যা ১৯৬১ সালে এটির সংযোজন হওয়ার আগে সাড়ে চার শতকের জন্য স্থায়ী হবে। ১৮৪৩ খ্রিষ্টাব্দে পর্তুগিজরা ভেলহা গোয়া থেকে রাজধানী তেজাই থেকে পালিয়ে যায়। আঠারোোো শতকের মধ্যভাগে, পর্তুগিজ গোয়া বেশিরভাগ বর্তমান রাষ্ট্রীয় সীমাতে বিস্তৃত হয়েছিল। ঐতিহ্যগতভাবে পর্তুগিজরা ভারতের অন্যান্য সম্পত্তি হারিয়ে ফেলে যতক্ষণ পর্যন্ত না তাদের সীমান্ত স্থির হয়ে যায় এবং এস্তাদো দ্য ভারতিয়া পোর্টগুয়েস বা পর্তুগিজ ভারত গঠিত হয়, যার মধ্যে গোয়া বৃহত্তম অঞ্চল ছিল। ১৯৪৭ সালে ভারত থেকে ব্রিটিশদের স্বাধীনতা লাভের পর, ভারতীয় উপমহাদেশের পর্তুগিজ অঞ্চলগুলি ভারতে প্রবেশ করতে অনুরোধ জানায়। পর্তুগাল তার ভারতীয় ছিটমহলের সার্বভৌমত্ব উপর আলোচনার প্রত্যাখ্যান।
১৫১০ খ্রিষ্টাব্দে কারা বিজাপুর শাসক সুলতান ইউসুফ আদিল শাহকে পরাজিত করে ?
{ "text": [ "পর্তুগিজরা" ], "answer_start": [ 492 ] }
1495
null
১৩১২ সালে, গোয়া দিল্লী সুলতানাত শাসনের অধীনে এসেছিল। এই অঞ্চলের রাজত্বের দৃঢ়তা ছিল দুর্বল, এবং ১৩৭০ খ্রিষ্টাব্দে এটি বিজয়নগর সাম্রাজ্যের হরিহর আমিকে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়। ১৪৬৯ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত বিজয়নগর সাম্রাজ্যের অঞ্চলটি অনুষ্ঠিত হয়, যখন এটি গুড়গুড়ীর বাহমানি সুলতানদের দ্বারা শাসিত হয়েছিল। এই রাজবংশের পতনের পরে, এলাকাটি বেজাপুরের আদিল শাহের হাতে পড়ে, যারা পর্তুগীজদের ভলহা গোয়া (বা পুরাতন গোয়া) নামে পরিচিত তাদের অক্জিলিয়ারী রাজধানী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৫১০ খ্রিষ্টাব্দে, পর্তুগিজরা ক্ষমতাসীন বেজাপুর সুলতান ইউসুফ আদিল শাহকে স্থানীয় মিত্র টিমাইয়া সাহায্যে পরাজিত করে। তারা Velha গোয়া একটি স্থায়ী বাস্তু সেট আপ এটি গোয়াতে পর্তুগিজ শাসনের শুরুতে ছিল, যা ১৯৬১ সালে এটির সংযোজন হওয়ার আগে সাড়ে চার শতকের জন্য স্থায়ী হবে। ১৮৪৩ খ্রিষ্টাব্দে পর্তুগিজরা ভেলহা গোয়া থেকে রাজধানী তেজাই থেকে পালিয়ে যায়। আঠারোোো শতকের মধ্যভাগে, পর্তুগিজ গোয়া বেশিরভাগ বর্তমান রাষ্ট্রীয় সীমাতে বিস্তৃত হয়েছিল। ঐতিহ্যগতভাবে পর্তুগিজরা ভারতের অন্যান্য সম্পত্তি হারিয়ে ফেলে যতক্ষণ পর্যন্ত না তাদের সীমান্ত স্থির হয়ে যায় এবং এস্তাদো দ্য ভারতিয়া পোর্টগুয়েস বা পর্তুগিজ ভারত গঠিত হয়, যার মধ্যে গোয়া বৃহত্তম অঞ্চল ছিল। ১৯৪৭ সালে ভারত থেকে ব্রিটিশদের স্বাধীনতা লাভের পর, ভারতীয় উপমহাদেশের পর্তুগিজ অঞ্চলগুলি ভারতে প্রবেশ করতে অনুরোধ জানায়। পর্তুগাল তার ভারতীয় ছিটমহলের সার্বভৌমত্ব উপর আলোচনার প্রত্যাখ্যান।
অপারেশন বিজয় কোন সালে শুরু হয় ?
{ "text": [ "" ], "answer_start": [ null ] }
1496
null
১৩১২ সালে, গোয়া দিল্লী সুলতানাত শাসনের অধীনে এসেছিল। এই অঞ্চলের রাজত্বের দৃঢ়তা ছিল দুর্বল, এবং ১৩৭০ খ্রিষ্টাব্দে এটি বিজয়নগর সাম্রাজ্যের হরিহর আমিকে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়। ১৪৬৯ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত বিজয়নগর সাম্রাজ্যের অঞ্চলটি অনুষ্ঠিত হয়, যখন এটি গুড়গুড়ীর বাহমানি সুলতানদের দ্বারা শাসিত হয়েছিল। এই রাজবংশের পতনের পরে, এলাকাটি বেজাপুরের আদিল শাহের হাতে পড়ে, যারা পর্তুগীজদের ভলহা গোয়া (বা পুরাতন গোয়া) নামে পরিচিত তাদের অক্জিলিয়ারী রাজধানী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৫১০ খ্রিষ্টাব্দে, পর্তুগিজরা ক্ষমতাসীন বেজাপুর সুলতান ইউসুফ আদিল শাহকে স্থানীয় মিত্র টিমাইয়া সাহায্যে পরাজিত করে। তারা Velha গোয়া একটি স্থায়ী বাস্তু সেট আপ এটি গোয়াতে পর্তুগিজ শাসনের শুরুতে ছিল, যা ১৯৬১ সালে এটির সংযোজন হওয়ার আগে সাড়ে চার শতকের জন্য স্থায়ী হবে। ১৮৪৩ খ্রিষ্টাব্দে পর্তুগিজরা ভেলহা গোয়া থেকে রাজধানী তেজাই থেকে পালিয়ে যায়। আঠারোোো শতকের মধ্যভাগে, পর্তুগিজ গোয়া বেশিরভাগ বর্তমান রাষ্ট্রীয় সীমাতে বিস্তৃত হয়েছিল। ঐতিহ্যগতভাবে পর্তুগিজরা ভারতের অন্যান্য সম্পত্তি হারিয়ে ফেলে যতক্ষণ পর্যন্ত না তাদের সীমান্ত স্থির হয়ে যায় এবং এস্তাদো দ্য ভারতিয়া পোর্টগুয়েস বা পর্তুগিজ ভারত গঠিত হয়, যার মধ্যে গোয়া বৃহত্তম অঞ্চল ছিল। ১৯৪৭ সালে ভারত থেকে ব্রিটিশদের স্বাধীনতা লাভের পর, ভারতীয় উপমহাদেশের পর্তুগিজ অঞ্চলগুলি ভারতে প্রবেশ করতে অনুরোধ জানায়। পর্তুগাল তার ভারতীয় ছিটমহলের সার্বভৌমত্ব উপর আলোচনার প্রত্যাখ্যান।
গোয়ার জন্মকালে সেটি ভারতের কততম রাজ্য ছিল ?
{ "text": [ "" ], "answer_start": [ null ] }
1497
null
১৩১২ সালে, গোয়া দিল্লী সুলতানাত শাসনের অধীনে এসেছিল। এই অঞ্চলের রাজত্বের দৃঢ়তা ছিল দুর্বল, এবং ১৩৭০ খ্রিষ্টাব্দে এটি বিজয়নগর সাম্রাজ্যের হরিহর আমিকে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়। ১৪৬৯ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত বিজয়নগর সাম্রাজ্যের অঞ্চলটি অনুষ্ঠিত হয়, যখন এটি গুড়গুড়ীর বাহমানি সুলতানদের দ্বারা শাসিত হয়েছিল। এই রাজবংশের পতনের পরে, এলাকাটি বেজাপুরের আদিল শাহের হাতে পড়ে, যারা পর্তুগীজদের ভলহা গোয়া (বা পুরাতন গোয়া) নামে পরিচিত তাদের অক্জিলিয়ারী রাজধানী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৫১০ খ্রিষ্টাব্দে, পর্তুগিজরা ক্ষমতাসীন বেজাপুর সুলতান ইউসুফ আদিল শাহকে স্থানীয় মিত্র টিমাইয়া সাহায্যে পরাজিত করে। তারা Velha গোয়া একটি স্থায়ী বাস্তু সেট আপ এটি গোয়াতে পর্তুগিজ শাসনের শুরুতে ছিল, যা ১৯৬১ সালে এটির সংযোজন হওয়ার আগে সাড়ে চার শতকের জন্য স্থায়ী হবে। ১৮৪৩ খ্রিষ্টাব্দে পর্তুগিজরা ভেলহা গোয়া থেকে রাজধানী তেজাই থেকে পালিয়ে যায়। আঠারোোো শতকের মধ্যভাগে, পর্তুগিজ গোয়া বেশিরভাগ বর্তমান রাষ্ট্রীয় সীমাতে বিস্তৃত হয়েছিল। ঐতিহ্যগতভাবে পর্তুগিজরা ভারতের অন্যান্য সম্পত্তি হারিয়ে ফেলে যতক্ষণ পর্যন্ত না তাদের সীমান্ত স্থির হয়ে যায় এবং এস্তাদো দ্য ভারতিয়া পোর্টগুয়েস বা পর্তুগিজ ভারত গঠিত হয়, যার মধ্যে গোয়া বৃহত্তম অঞ্চল ছিল। ১৯৪৭ সালে ভারত থেকে ব্রিটিশদের স্বাধীনতা লাভের পর, ভারতীয় উপমহাদেশের পর্তুগিজ অঞ্চলগুলি ভারতে প্রবেশ করতে অনুরোধ জানায়। পর্তুগাল তার ভারতীয় ছিটমহলের সার্বভৌমত্ব উপর আলোচনার প্রত্যাখ্যান।
কোন সালে, গোয়া দিল্লী সালতানাতের শাসনের অধীনে আসে ?
{ "text": [ "১৩১২" ], "answer_start": [ 0 ] }
1498
null
১৩১২ সালে, গোয়া দিল্লী সুলতানাত শাসনের অধীনে এসেছিল। এই অঞ্চলের রাজত্বের দৃঢ়তা ছিল দুর্বল, এবং ১৩৭০ খ্রিষ্টাব্দে এটি বিজয়নগর সাম্রাজ্যের হরিহর আমিকে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়। ১৪৬৯ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত বিজয়নগর সাম্রাজ্যের অঞ্চলটি অনুষ্ঠিত হয়, যখন এটি গুড়গুড়ীর বাহমানি সুলতানদের দ্বারা শাসিত হয়েছিল। এই রাজবংশের পতনের পরে, এলাকাটি বেজাপুরের আদিল শাহের হাতে পড়ে, যারা পর্তুগীজদের ভলহা গোয়া (বা পুরাতন গোয়া) নামে পরিচিত তাদের অক্জিলিয়ারী রাজধানী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৫১০ খ্রিষ্টাব্দে, পর্তুগিজরা ক্ষমতাসীন বেজাপুর সুলতান ইউসুফ আদিল শাহকে স্থানীয় মিত্র টিমাইয়া সাহায্যে পরাজিত করে। তারা Velha গোয়া একটি স্থায়ী বাস্তু সেট আপ এটি গোয়াতে পর্তুগিজ শাসনের শুরুতে ছিল, যা ১৯৬১ সালে এটির সংযোজন হওয়ার আগে সাড়ে চার শতকের জন্য স্থায়ী হবে। ১৮৪৩ খ্রিষ্টাব্দে পর্তুগিজরা ভেলহা গোয়া থেকে রাজধানী তেজাই থেকে পালিয়ে যায়। আঠারোোো শতকের মধ্যভাগে, পর্তুগিজ গোয়া বেশিরভাগ বর্তমান রাষ্ট্রীয় সীমাতে বিস্তৃত হয়েছিল। ঐতিহ্যগতভাবে পর্তুগিজরা ভারতের অন্যান্য সম্পত্তি হারিয়ে ফেলে যতক্ষণ পর্যন্ত না তাদের সীমান্ত স্থির হয়ে যায় এবং এস্তাদো দ্য ভারতিয়া পোর্টগুয়েস বা পর্তুগিজ ভারত গঠিত হয়, যার মধ্যে গোয়া বৃহত্তম অঞ্চল ছিল। ১৯৪৭ সালে ভারত থেকে ব্রিটিশদের স্বাধীনতা লাভের পর, ভারতীয় উপমহাদেশের পর্তুগিজ অঞ্চলগুলি ভারতে প্রবেশ করতে অনুরোধ জানায়। পর্তুগাল তার ভারতীয় ছিটমহলের সার্বভৌমত্ব উপর আলোচনার প্রত্যাখ্যান।
কোন অভিযানের মাধ্যমে গোয়া ,দমন এবং দিউ ভারতীয় ইউনিয়নের দখলে যায় ?
{ "text": [ "" ], "answer_start": [ null ] }
1499
null
১৩১২ সালে, গোয়া দিল্লী সুলতানাত শাসনের অধীনে এসেছিল। এই অঞ্চলের রাজত্বের দৃঢ়তা ছিল দুর্বল, এবং ১৩৭০ খ্রিষ্টাব্দে এটি বিজয়নগর সাম্রাজ্যের হরিহর আমিকে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়। ১৪৬৯ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত বিজয়নগর সাম্রাজ্যের অঞ্চলটি অনুষ্ঠিত হয়, যখন এটি গুড়গুড়ীর বাহমানি সুলতানদের দ্বারা শাসিত হয়েছিল। এই রাজবংশের পতনের পরে, এলাকাটি বেজাপুরের আদিল শাহের হাতে পড়ে, যারা পর্তুগীজদের ভলহা গোয়া (বা পুরাতন গোয়া) নামে পরিচিত তাদের অক্জিলিয়ারী রাজধানী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৫১০ খ্রিষ্টাব্দে, পর্তুগিজরা ক্ষমতাসীন বেজাপুর সুলতান ইউসুফ আদিল শাহকে স্থানীয় মিত্র টিমাইয়া সাহায্যে পরাজিত করে। তারা Velha গোয়া একটি স্থায়ী বাস্তু সেট আপ এটি গোয়াতে পর্তুগিজ শাসনের শুরুতে ছিল, যা ১৯৬১ সালে এটির সংযোজন হওয়ার আগে সাড়ে চার শতকের জন্য স্থায়ী হবে। ১৮৪৩ খ্রিষ্টাব্দে পর্তুগিজরা ভেলহা গোয়া থেকে রাজধানী তেজাই থেকে পালিয়ে যায়। আঠারোোো শতকের মধ্যভাগে, পর্তুগিজ গোয়া বেশিরভাগ বর্তমান রাষ্ট্রীয় সীমাতে বিস্তৃত হয়েছিল। ঐতিহ্যগতভাবে পর্তুগিজরা ভারতের অন্যান্য সম্পত্তি হারিয়ে ফেলে যতক্ষণ পর্যন্ত না তাদের সীমান্ত স্থির হয়ে যায় এবং এস্তাদো দ্য ভারতিয়া পোর্টগুয়েস বা পর্তুগিজ ভারত গঠিত হয়, যার মধ্যে গোয়া বৃহত্তম অঞ্চল ছিল। ১৯৪৭ সালে ভারত থেকে ব্রিটিশদের স্বাধীনতা লাভের পর, ভারতীয় উপমহাদেশের পর্তুগিজ অঞ্চলগুলি ভারতে প্রবেশ করতে অনুরোধ জানায়। পর্তুগাল তার ভারতীয় ছিটমহলের সার্বভৌমত্ব উপর আলোচনার প্রত্যাখ্যান।
১৪৬৯ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত কারা বিজয়নগর সাম্রাজ্যের অঞ্চল শাসন করেছিলেন ?
{ "text": [ "গুড়গুড়ীর বাহমানি সুলতান" ], "answer_start": [ 253 ] }
1500
null
১৫ই আগস্ট ১৯৪৭ সালে ভারতের স্বাধীনতার দিন, নব্য গঠিত কংগ্রেসশাসিত সরকার আম্বেদকরকে জাতির প্রথম আইন মন্ত্রী পদ অর্পণ করেন, যা তিনি সানন্দে গ্রহণ করেছিলেন। ২৯ই আগস্ট, আম্বেদকরকে সংবিধান খসড়া সমিতির সভাপতি করা হয়, যা স্বাধীন ভারতের নতুন সংবিধান রচনার উদ্দেশ্যে বিধানসভা কর্তৃক দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়। আম্বেদকর তার সহকর্মী ও সমসাময়িক পর্যবেক্ষকদের কাছ থেকে প্রচুর প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন। এই কাজে আম্বেদকর প্রাচীন বৌদ্ধ ধর্মে সঙ্ঘের-চর্চা নিয়ে বৌদ্ধ ধর্মীয় গ্রন্থে অধিক পড়াশোনাই অনেক সহায়ক হিসেবে কাজ করেছিলো। ব্যালটের দ্বারা ভোট প্রদান, তর্ক-বিতর্কের ও অগ্রবর্তী নীতিমালা, করণীয় বিষয়সূচী, সভা-সমিতি ও ব্যবসায় সংক্রান্ত প্রস্তাবনা সমূহের ব্যবহার ইত্যাদি সংঘ চর্চা দ্বারা সমন্বয় সাধিত হয়। সংঘ চর্চা প্রাচীন ভারতের কিছু রাষ্ট্রীয় প্রজাতান্ত্রিক উপজাতিগোষ্ঠী যেমন শাক্যবংশ (Shakyas) ও লিচ্ছবিররা (Lichchavis) কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত। অতঃপর আম্বেদকর যদিও তার সাংবিধানিক অবয়ব তৈরিতে পশ্চিমা প্রণালীর ব্যবহার করেন, বস্তুত এর অনুপ্রেরণা ছিলো ভারতীয়, বাস্তবিকপক্ষে উপজাতীয়।
ভারতবর্ষ কত সালে স্বাধীন হয়েছিল?
{ "text": [ "১৯৪৭" ], "answer_start": [ 10 ] }
1501
null
১৫ই আগস্ট ১৯৪৭ সালে ভারতের স্বাধীনতার দিন, নব্য গঠিত কংগ্রেসশাসিত সরকার আম্বেদকরকে জাতির প্রথম আইন মন্ত্রী পদ অর্পণ করেন, যা তিনি সানন্দে গ্রহণ করেছিলেন। ২৯ই আগস্ট, আম্বেদকরকে সংবিধান খসড়া সমিতির সভাপতি করা হয়, যা স্বাধীন ভারতের নতুন সংবিধান রচনার উদ্দেশ্যে বিধানসভা কর্তৃক দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়। আম্বেদকর তার সহকর্মী ও সমসাময়িক পর্যবেক্ষকদের কাছ থেকে প্রচুর প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন। এই কাজে আম্বেদকর প্রাচীন বৌদ্ধ ধর্মে সঙ্ঘের-চর্চা নিয়ে বৌদ্ধ ধর্মীয় গ্রন্থে অধিক পড়াশোনাই অনেক সহায়ক হিসেবে কাজ করেছিলো। ব্যালটের দ্বারা ভোট প্রদান, তর্ক-বিতর্কের ও অগ্রবর্তী নীতিমালা, করণীয় বিষয়সূচী, সভা-সমিতি ও ব্যবসায় সংক্রান্ত প্রস্তাবনা সমূহের ব্যবহার ইত্যাদি সংঘ চর্চা দ্বারা সমন্বয় সাধিত হয়। সংঘ চর্চা প্রাচীন ভারতের কিছু রাষ্ট্রীয় প্রজাতান্ত্রিক উপজাতিগোষ্ঠী যেমন শাক্যবংশ (Shakyas) ও লিচ্ছবিররা (Lichchavis) কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত। অতঃপর আম্বেদকর যদিও তার সাংবিধানিক অবয়ব তৈরিতে পশ্চিমা প্রণালীর ব্যবহার করেন, বস্তুত এর অনুপ্রেরণা ছিলো ভারতীয়, বাস্তবিকপক্ষে উপজাতীয়।
আম্বেদকর সাংবিধান তৈরিতে কোন পদ্ধতি ব্যাবহার করেছিলেন?
{ "text": [ "পশ্চিমা প্রণালীর" ], "answer_start": [ 871 ] }
1502
null
১৫ই আগস্ট ১৯৪৭ সালে ভারতের স্বাধীনতার দিন, নব্য গঠিত কংগ্রেসশাসিত সরকার আম্বেদকরকে জাতির প্রথম আইন মন্ত্রী পদ অর্পণ করেন, যা তিনি সানন্দে গ্রহণ করেছিলেন। ২৯ই আগস্ট, আম্বেদকরকে সংবিধান খসড়া সমিতির সভাপতি করা হয়, যা স্বাধীন ভারতের নতুন সংবিধান রচনার উদ্দেশ্যে বিধানসভা কর্তৃক দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়। আম্বেদকর তার সহকর্মী ও সমসাময়িক পর্যবেক্ষকদের কাছ থেকে প্রচুর প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন। এই কাজে আম্বেদকর প্রাচীন বৌদ্ধ ধর্মে সঙ্ঘের-চর্চা নিয়ে বৌদ্ধ ধর্মীয় গ্রন্থে অধিক পড়াশোনাই অনেক সহায়ক হিসেবে কাজ করেছিলো। ব্যালটের দ্বারা ভোট প্রদান, তর্ক-বিতর্কের ও অগ্রবর্তী নীতিমালা, করণীয় বিষয়সূচী, সভা-সমিতি ও ব্যবসায় সংক্রান্ত প্রস্তাবনা সমূহের ব্যবহার ইত্যাদি সংঘ চর্চা দ্বারা সমন্বয় সাধিত হয়। সংঘ চর্চা প্রাচীন ভারতের কিছু রাষ্ট্রীয় প্রজাতান্ত্রিক উপজাতিগোষ্ঠী যেমন শাক্যবংশ (Shakyas) ও লিচ্ছবিররা (Lichchavis) কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত। অতঃপর আম্বেদকর যদিও তার সাংবিধানিক অবয়ব তৈরিতে পশ্চিমা প্রণালীর ব্যবহার করেন, বস্তুত এর অনুপ্রেরণা ছিলো ভারতীয়, বাস্তবিকপক্ষে উপজাতীয়।
আম্বেদকর কাদের কাছ থেকে অনেক প্রশংসা পেয়েছিলেন?
{ "text": [ "সহকর্মী ও সমসাময়িক পর্যবেক্ষকদের" ], "answer_start": [ 308 ] }
1503
null
১৫ই আগস্ট ১৯৪৭ সালে ভারতের স্বাধীনতার দিন, নব্য গঠিত কংগ্রেসশাসিত সরকার আম্বেদকরকে জাতির প্রথম আইন মন্ত্রী পদ অর্পণ করেন, যা তিনি সানন্দে গ্রহণ করেছিলেন। ২৯ই আগস্ট, আম্বেদকরকে সংবিধান খসড়া সমিতির সভাপতি করা হয়, যা স্বাধীন ভারতের নতুন সংবিধান রচনার উদ্দেশ্যে বিধানসভা কর্তৃক দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়। আম্বেদকর তার সহকর্মী ও সমসাময়িক পর্যবেক্ষকদের কাছ থেকে প্রচুর প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন। এই কাজে আম্বেদকর প্রাচীন বৌদ্ধ ধর্মে সঙ্ঘের-চর্চা নিয়ে বৌদ্ধ ধর্মীয় গ্রন্থে অধিক পড়াশোনাই অনেক সহায়ক হিসেবে কাজ করেছিলো। ব্যালটের দ্বারা ভোট প্রদান, তর্ক-বিতর্কের ও অগ্রবর্তী নীতিমালা, করণীয় বিষয়সূচী, সভা-সমিতি ও ব্যবসায় সংক্রান্ত প্রস্তাবনা সমূহের ব্যবহার ইত্যাদি সংঘ চর্চা দ্বারা সমন্বয় সাধিত হয়। সংঘ চর্চা প্রাচীন ভারতের কিছু রাষ্ট্রীয় প্রজাতান্ত্রিক উপজাতিগোষ্ঠী যেমন শাক্যবংশ (Shakyas) ও লিচ্ছবিররা (Lichchavis) কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত। অতঃপর আম্বেদকর যদিও তার সাংবিধানিক অবয়ব তৈরিতে পশ্চিমা প্রণালীর ব্যবহার করেন, বস্তুত এর অনুপ্রেরণা ছিলো ভারতীয়, বাস্তবিকপক্ষে উপজাতীয়।
আম্বেদকরকে কবে স্বাধীন ভারতের সংবিধান খসড়া সমিতির সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত করা হয়?
{ "text": [ "২৯ই আগস্ট" ], "answer_start": [ 153 ] }
1504
null
১৫ই আগস্ট ১৯৪৭ সালে ভারতের স্বাধীনতার দিন, নব্য গঠিত কংগ্রেসশাসিত সরকার আম্বেদকরকে জাতির প্রথম আইন মন্ত্রী পদ অর্পণ করেন, যা তিনি সানন্দে গ্রহণ করেছিলেন। ২৯ই আগস্ট, আম্বেদকরকে সংবিধান খসড়া সমিতির সভাপতি করা হয়, যা স্বাধীন ভারতের নতুন সংবিধান রচনার উদ্দেশ্যে বিধানসভা কর্তৃক দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়। আম্বেদকর তার সহকর্মী ও সমসাময়িক পর্যবেক্ষকদের কাছ থেকে প্রচুর প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন। এই কাজে আম্বেদকর প্রাচীন বৌদ্ধ ধর্মে সঙ্ঘের-চর্চা নিয়ে বৌদ্ধ ধর্মীয় গ্রন্থে অধিক পড়াশোনাই অনেক সহায়ক হিসেবে কাজ করেছিলো। ব্যালটের দ্বারা ভোট প্রদান, তর্ক-বিতর্কের ও অগ্রবর্তী নীতিমালা, করণীয় বিষয়সূচী, সভা-সমিতি ও ব্যবসায় সংক্রান্ত প্রস্তাবনা সমূহের ব্যবহার ইত্যাদি সংঘ চর্চা দ্বারা সমন্বয় সাধিত হয়। সংঘ চর্চা প্রাচীন ভারতের কিছু রাষ্ট্রীয় প্রজাতান্ত্রিক উপজাতিগোষ্ঠী যেমন শাক্যবংশ (Shakyas) ও লিচ্ছবিররা (Lichchavis) কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত। অতঃপর আম্বেদকর যদিও তার সাংবিধানিক অবয়ব তৈরিতে পশ্চিমা প্রণালীর ব্যবহার করেন, বস্তুত এর অনুপ্রেরণা ছিলো ভারতীয়, বাস্তবিকপক্ষে উপজাতীয়।
কাকে স্বাধীন ভারতের সংবিধান খসড়া সমিতির সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত করা হয়?
{ "text": [ "আম্বেদকর" ], "answer_start": [ 72 ] }
1505
null
১৫ই আগস্ট ১৯৪৭ সালে ভারতের স্বাধীনতার দিন, নব্য গঠিত কংগ্রেসশাসিত সরকার আম্বেদকরকে জাতির প্রথম আইন মন্ত্রী পদ অর্পণ করেন, যা তিনি সানন্দে গ্রহণ করেছিলেন। ২৯ই আগস্ট, আম্বেদকরকে সংবিধান খসড়া সমিতির সভাপতি করা হয়, যা স্বাধীন ভারতের নতুন সংবিধান রচনার উদ্দেশ্যে বিধানসভা কর্তৃক দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়। আম্বেদকর তার সহকর্মী ও সমসাময়িক পর্যবেক্ষকদের কাছ থেকে প্রচুর প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন। এই কাজে আম্বেদকর প্রাচীন বৌদ্ধ ধর্মে সঙ্ঘের-চর্চা নিয়ে বৌদ্ধ ধর্মীয় গ্রন্থে অধিক পড়াশোনাই অনেক সহায়ক হিসেবে কাজ করেছিলো। ব্যালটের দ্বারা ভোট প্রদান, তর্ক-বিতর্কের ও অগ্রবর্তী নীতিমালা, করণীয় বিষয়সূচী, সভা-সমিতি ও ব্যবসায় সংক্রান্ত প্রস্তাবনা সমূহের ব্যবহার ইত্যাদি সংঘ চর্চা দ্বারা সমন্বয় সাধিত হয়। সংঘ চর্চা প্রাচীন ভারতের কিছু রাষ্ট্রীয় প্রজাতান্ত্রিক উপজাতিগোষ্ঠী যেমন শাক্যবংশ (Shakyas) ও লিচ্ছবিররা (Lichchavis) কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত। অতঃপর আম্বেদকর যদিও তার সাংবিধানিক অবয়ব তৈরিতে পশ্চিমা প্রণালীর ব্যবহার করেন, বস্তুত এর অনুপ্রেরণা ছিলো ভারতীয়, বাস্তবিকপক্ষে উপজাতীয়।
কে আম্বেদকরের ভারতীয় সংবিধানের খসড়াকে "একক মনের এবং সেরা সামাজিক দলিল" হিসাবে বর্ণনা করেছেন ?
{ "text": [ "" ], "answer_start": [ null ] }
1506
null
১৫ই আগস্ট ১৯৪৭ সালে ভারতের স্বাধীনতার দিন, নব্য গঠিত কংগ্রেসশাসিত সরকার আম্বেদকরকে জাতির প্রথম আইন মন্ত্রী পদ অর্পণ করেন, যা তিনি সানন্দে গ্রহণ করেছিলেন। ২৯ই আগস্ট, আম্বেদকরকে সংবিধান খসড়া সমিতির সভাপতি করা হয়, যা স্বাধীন ভারতের নতুন সংবিধান রচনার উদ্দেশ্যে বিধানসভা কর্তৃক দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়। আম্বেদকর তার সহকর্মী ও সমসাময়িক পর্যবেক্ষকদের কাছ থেকে প্রচুর প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন। এই কাজে আম্বেদকর প্রাচীন বৌদ্ধ ধর্মে সঙ্ঘের-চর্চা নিয়ে বৌদ্ধ ধর্মীয় গ্রন্থে অধিক পড়াশোনাই অনেক সহায়ক হিসেবে কাজ করেছিলো। ব্যালটের দ্বারা ভোট প্রদান, তর্ক-বিতর্কের ও অগ্রবর্তী নীতিমালা, করণীয় বিষয়সূচী, সভা-সমিতি ও ব্যবসায় সংক্রান্ত প্রস্তাবনা সমূহের ব্যবহার ইত্যাদি সংঘ চর্চা দ্বারা সমন্বয় সাধিত হয়। সংঘ চর্চা প্রাচীন ভারতের কিছু রাষ্ট্রীয় প্রজাতান্ত্রিক উপজাতিগোষ্ঠী যেমন শাক্যবংশ (Shakyas) ও লিচ্ছবিররা (Lichchavis) কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত। অতঃপর আম্বেদকর যদিও তার সাংবিধানিক অবয়ব তৈরিতে পশ্চিমা প্রণালীর ব্যবহার করেন, বস্তুত এর অনুপ্রেরণা ছিলো ভারতীয়, বাস্তবিকপক্ষে উপজাতীয়।
কোন দেশের সংবিধানের অধিকাংশ অনুচ্ছেদ সামাজিক বিপ্লব এবং সামাজিক বিপ্লব পরিপোষণের অনুকূল পরিবেশ তৈরি করে ?
{ "text": [ "" ], "answer_start": [ null ] }
1507
null
১৭০৭ সালে তার মৃত্যুর পর সাম্রাজ্যের অনেক অংশ বিদ্রোহ করতে শুরু করে। আওরঙ্গজেবের ছেলে প্রথম বাহাদুর শাহ প্রশাসন সংস্কার করতে সচেষ্ট হয়েছিলেন। তবে ১৭১২ সালে তার মৃত্যুর পর মুঘল সাম্রাজ্য বিশৃঙ্খল অবস্থায় পড়ে। ১৭১৯ সালে চারজন দুর্বল সম্রাট পরপর শাসন করেছেন। মুহাম্মদ শাহের শাসনামলে সাম্রাজ্য ভেঙে পড়তে শুরু করে। মধ্য ভারতের অধিকাংশ মারাঠা সাম্রাজ্যের হাতে চলে যায়। নাদির শাহ দিল্লি আক্রমণ করেন এবং এতে মুঘল শক্তি দুর্বল হয়ে পড়ে। সাম্রাজ্যে অনেক স্বাধীন রাজ্যের উদ্ভব হয়। তবে মুঘল সম্রাটকে সর্বোচ্চ শাসক হিসেবে বিবেচনা করা হত। সম্রাট দ্বিতীয় শাহ আলম মুঘল কর্তৃত্ব পুনপ্রতিষ্ঠার জন্য প্রচেষ্টা চালান। কিন্তু তাকে বাইরের শক্তির উপর নির্ভর করতে হয়। এদের মধ্যে ছিলেন আফগানিস্তানের আমির আহমেদ শাহ আবদালি। ১৭৬১ সালে আবদালির নেতৃত্বাধীন আফগান ও মারাঠা সাম্রাজ্যের মধ্যে পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধ সংঘটিত হয়। পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধে মারাঠারা পরাজিত হলেও ১৭৭১ সালে মারাঠারা আফগান-মুঘলদের কাছ থেকে দিল্লি পুনর্দখল করে নেয় এবং ১৭৮৪ সালে তারা আনুষ্ঠানিকভাবে দিল্লিতে সম্রাটের রক্ষক হয়ে উঠে। তৃতীয় ইঙ্গ-মারাঠা যুদ্ধের আগ পর্যন্ত এই অবস্থা বজায় ছিল। এরপর ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি মুঘল রাজবংশের রক্ষক হয়। সিপাহী বিদ্রোহের ব্যর্থতার পর শেষ মুঘল সম্রাটকে ক্ষমতাচ্যুত করে নির্বাসনে পাঠানো হয়। এরপর ইংল্যান্ডের রাণী ভিক্টোরিয়াকে ভারত সম্রাজ্ঞী ঘোষণা করা হয়। ইতিহাসবিদরা মুঘল সাম্রাজের পতনের বেশ কিছু কারণ উল্লেখ করেন। অর্থনৈতিক দিক থেকে সাম্রাজ্যে প্রধান কর্মচারী, আমিরদের বেতন দিতে প্রয়োজনীয় রাজস্ব ছিল না(তথ্যসূত্র প্রয়োজন)। আঞ্চলিক শাসকদের উপর সম্রাট নিজের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছিলেন। সেনাবাহিনীকে অধিক মাত্রায় আগ্রাসী মারাঠাদের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিনব্যপী চলমান যুদ্ধে অবতীর্ণ হতে হয় ফলে তারা মনোবল হারিয়ে ফেলে। ফররুখসিয়ারের মৃত্যুর পর স্থানীয় শাসকরা ক্ষমতা নিতে শুরু করে। ১৯৭০ এর দশক থেকে ইতিহাসবিদরা বেশ কয়েকভাবে পতনকে ব্যাখ্যা করেছেন। মনস্তাত্ত্বিক ব্যাখ্যায় দেখা যায় উচ্চশ্রেণীর মধ্যে অসাধুতা, অত্যধিক বিলাসিতা এবং সংকীর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি শাসকদের বাহ্যিক হুমকির ব্যাপারে অপ্রস্তুত করে তোলে। একটি মার্ক্সবাদী মতানুযায়ী, ধনীদের হাতে কৃষকদের নিপীড়নের কারণে শাসনের প্রতি জনসমর্থন কমে যায়। আরেকটি মতানুযায়ী হিন্দু ধনী সম্প্রদায় মুঘল সাম্রাজ্যের বদলে মারাঠা ও ব্রিটিশদের অর্থসহায়তা প্রদান করে।
১৭৩৯ সালে কার দিল্লি আক্রমণের ফলে মুঘল শক্তি দুর্বল হয়ে পড়ে?
{ "text": [ "নাদির শাহ" ], "answer_start": [ 362 ] }
1508
null
১৭০৭ সালে তার মৃত্যুর পর সাম্রাজ্যের অনেক অংশ বিদ্রোহ করতে শুরু করে। আওরঙ্গজেবের ছেলে প্রথম বাহাদুর শাহ প্রশাসন সংস্কার করতে সচেষ্ট হয়েছিলেন। তবে ১৭১২ সালে তার মৃত্যুর পর মুঘল সাম্রাজ্য বিশৃঙ্খল অবস্থায় পড়ে। ১৭১৯ সালে চারজন দুর্বল সম্রাট পরপর শাসন করেছেন। মুহাম্মদ শাহের শাসনামলে সাম্রাজ্য ভেঙে পড়তে শুরু করে। মধ্য ভারতের অধিকাংশ মারাঠা সাম্রাজ্যের হাতে চলে যায়। নাদির শাহ দিল্লি আক্রমণ করেন এবং এতে মুঘল শক্তি দুর্বল হয়ে পড়ে। সাম্রাজ্যে অনেক স্বাধীন রাজ্যের উদ্ভব হয়। তবে মুঘল সম্রাটকে সর্বোচ্চ শাসক হিসেবে বিবেচনা করা হত। সম্রাট দ্বিতীয় শাহ আলম মুঘল কর্তৃত্ব পুনপ্রতিষ্ঠার জন্য প্রচেষ্টা চালান। কিন্তু তাকে বাইরের শক্তির উপর নির্ভর করতে হয়। এদের মধ্যে ছিলেন আফগানিস্তানের আমির আহমেদ শাহ আবদালি। ১৭৬১ সালে আবদালির নেতৃত্বাধীন আফগান ও মারাঠা সাম্রাজ্যের মধ্যে পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধ সংঘটিত হয়। পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধে মারাঠারা পরাজিত হলেও ১৭৭১ সালে মারাঠারা আফগান-মুঘলদের কাছ থেকে দিল্লি পুনর্দখল করে নেয় এবং ১৭৮৪ সালে তারা আনুষ্ঠানিকভাবে দিল্লিতে সম্রাটের রক্ষক হয়ে উঠে। তৃতীয় ইঙ্গ-মারাঠা যুদ্ধের আগ পর্যন্ত এই অবস্থা বজায় ছিল। এরপর ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি মুঘল রাজবংশের রক্ষক হয়। সিপাহী বিদ্রোহের ব্যর্থতার পর শেষ মুঘল সম্রাটকে ক্ষমতাচ্যুত করে নির্বাসনে পাঠানো হয়। এরপর ইংল্যান্ডের রাণী ভিক্টোরিয়াকে ভারত সম্রাজ্ঞী ঘোষণা করা হয়। ইতিহাসবিদরা মুঘল সাম্রাজের পতনের বেশ কিছু কারণ উল্লেখ করেন। অর্থনৈতিক দিক থেকে সাম্রাজ্যে প্রধান কর্মচারী, আমিরদের বেতন দিতে প্রয়োজনীয় রাজস্ব ছিল না(তথ্যসূত্র প্রয়োজন)। আঞ্চলিক শাসকদের উপর সম্রাট নিজের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছিলেন। সেনাবাহিনীকে অধিক মাত্রায় আগ্রাসী মারাঠাদের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিনব্যপী চলমান যুদ্ধে অবতীর্ণ হতে হয় ফলে তারা মনোবল হারিয়ে ফেলে। ফররুখসিয়ারের মৃত্যুর পর স্থানীয় শাসকরা ক্ষমতা নিতে শুরু করে। ১৯৭০ এর দশক থেকে ইতিহাসবিদরা বেশ কয়েকভাবে পতনকে ব্যাখ্যা করেছেন। মনস্তাত্ত্বিক ব্যাখ্যায় দেখা যায় উচ্চশ্রেণীর মধ্যে অসাধুতা, অত্যধিক বিলাসিতা এবং সংকীর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি শাসকদের বাহ্যিক হুমকির ব্যাপারে অপ্রস্তুত করে তোলে। একটি মার্ক্সবাদী মতানুযায়ী, ধনীদের হাতে কৃষকদের নিপীড়নের কারণে শাসনের প্রতি জনসমর্থন কমে যায়। আরেকটি মতানুযায়ী হিন্দু ধনী সম্প্রদায় মুঘল সাম্রাজ্যের বদলে মারাঠা ও ব্রিটিশদের অর্থসহায়তা প্রদান করে।
পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধে কারা পরাজিত হয়েছিল ?
{ "text": [ "মারাঠারা" ], "answer_start": [ 814 ] }
1509
null
১৭০৭ সালে তার মৃত্যুর পর সাম্রাজ্যের অনেক অংশ বিদ্রোহ করতে শুরু করে। আওরঙ্গজেবের ছেলে প্রথম বাহাদুর শাহ প্রশাসন সংস্কার করতে সচেষ্ট হয়েছিলেন। তবে ১৭১২ সালে তার মৃত্যুর পর মুঘল সাম্রাজ্য বিশৃঙ্খল অবস্থায় পড়ে। ১৭১৯ সালে চারজন দুর্বল সম্রাট পরপর শাসন করেছেন। মুহাম্মদ শাহের শাসনামলে সাম্রাজ্য ভেঙে পড়তে শুরু করে। মধ্য ভারতের অধিকাংশ মারাঠা সাম্রাজ্যের হাতে চলে যায়। নাদির শাহ দিল্লি আক্রমণ করেন এবং এতে মুঘল শক্তি দুর্বল হয়ে পড়ে। সাম্রাজ্যে অনেক স্বাধীন রাজ্যের উদ্ভব হয়। তবে মুঘল সম্রাটকে সর্বোচ্চ শাসক হিসেবে বিবেচনা করা হত। সম্রাট দ্বিতীয় শাহ আলম মুঘল কর্তৃত্ব পুনপ্রতিষ্ঠার জন্য প্রচেষ্টা চালান। কিন্তু তাকে বাইরের শক্তির উপর নির্ভর করতে হয়। এদের মধ্যে ছিলেন আফগানিস্তানের আমির আহমেদ শাহ আবদালি। ১৭৬১ সালে আবদালির নেতৃত্বাধীন আফগান ও মারাঠা সাম্রাজ্যের মধ্যে পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধ সংঘটিত হয়। পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধে মারাঠারা পরাজিত হলেও ১৭৭১ সালে মারাঠারা আফগান-মুঘলদের কাছ থেকে দিল্লি পুনর্দখল করে নেয় এবং ১৭৮৪ সালে তারা আনুষ্ঠানিকভাবে দিল্লিতে সম্রাটের রক্ষক হয়ে উঠে। তৃতীয় ইঙ্গ-মারাঠা যুদ্ধের আগ পর্যন্ত এই অবস্থা বজায় ছিল। এরপর ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি মুঘল রাজবংশের রক্ষক হয়। সিপাহী বিদ্রোহের ব্যর্থতার পর শেষ মুঘল সম্রাটকে ক্ষমতাচ্যুত করে নির্বাসনে পাঠানো হয়। এরপর ইংল্যান্ডের রাণী ভিক্টোরিয়াকে ভারত সম্রাজ্ঞী ঘোষণা করা হয়। ইতিহাসবিদরা মুঘল সাম্রাজের পতনের বেশ কিছু কারণ উল্লেখ করেন। অর্থনৈতিক দিক থেকে সাম্রাজ্যে প্রধান কর্মচারী, আমিরদের বেতন দিতে প্রয়োজনীয় রাজস্ব ছিল না(তথ্যসূত্র প্রয়োজন)। আঞ্চলিক শাসকদের উপর সম্রাট নিজের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছিলেন। সেনাবাহিনীকে অধিক মাত্রায় আগ্রাসী মারাঠাদের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিনব্যপী চলমান যুদ্ধে অবতীর্ণ হতে হয় ফলে তারা মনোবল হারিয়ে ফেলে। ফররুখসিয়ারের মৃত্যুর পর স্থানীয় শাসকরা ক্ষমতা নিতে শুরু করে। ১৯৭০ এর দশক থেকে ইতিহাসবিদরা বেশ কয়েকভাবে পতনকে ব্যাখ্যা করেছেন। মনস্তাত্ত্বিক ব্যাখ্যায় দেখা যায় উচ্চশ্রেণীর মধ্যে অসাধুতা, অত্যধিক বিলাসিতা এবং সংকীর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি শাসকদের বাহ্যিক হুমকির ব্যাপারে অপ্রস্তুত করে তোলে। একটি মার্ক্সবাদী মতানুযায়ী, ধনীদের হাতে কৃষকদের নিপীড়নের কারণে শাসনের প্রতি জনসমর্থন কমে যায়। আরেকটি মতানুযায়ী হিন্দু ধনী সম্প্রদায় মুঘল সাম্রাজ্যের বদলে মারাঠা ও ব্রিটিশদের অর্থসহায়তা প্রদান করে।
মুঘল সাম্রাজ্যের রাজপুতরা ধর্মের বিচারে কোন শাসনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিল?
{ "text": [ "" ], "answer_start": [ null ] }
1510
null
১৭০৭ সালে তার মৃত্যুর পর সাম্রাজ্যের অনেক অংশ বিদ্রোহ করতে শুরু করে। আওরঙ্গজেবের ছেলে প্রথম বাহাদুর শাহ প্রশাসন সংস্কার করতে সচেষ্ট হয়েছিলেন। তবে ১৭১২ সালে তার মৃত্যুর পর মুঘল সাম্রাজ্য বিশৃঙ্খল অবস্থায় পড়ে। ১৭১৯ সালে চারজন দুর্বল সম্রাট পরপর শাসন করেছেন। মুহাম্মদ শাহের শাসনামলে সাম্রাজ্য ভেঙে পড়তে শুরু করে। মধ্য ভারতের অধিকাংশ মারাঠা সাম্রাজ্যের হাতে চলে যায়। নাদির শাহ দিল্লি আক্রমণ করেন এবং এতে মুঘল শক্তি দুর্বল হয়ে পড়ে। সাম্রাজ্যে অনেক স্বাধীন রাজ্যের উদ্ভব হয়। তবে মুঘল সম্রাটকে সর্বোচ্চ শাসক হিসেবে বিবেচনা করা হত। সম্রাট দ্বিতীয় শাহ আলম মুঘল কর্তৃত্ব পুনপ্রতিষ্ঠার জন্য প্রচেষ্টা চালান। কিন্তু তাকে বাইরের শক্তির উপর নির্ভর করতে হয়। এদের মধ্যে ছিলেন আফগানিস্তানের আমির আহমেদ শাহ আবদালি। ১৭৬১ সালে আবদালির নেতৃত্বাধীন আফগান ও মারাঠা সাম্রাজ্যের মধ্যে পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধ সংঘটিত হয়। পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধে মারাঠারা পরাজিত হলেও ১৭৭১ সালে মারাঠারা আফগান-মুঘলদের কাছ থেকে দিল্লি পুনর্দখল করে নেয় এবং ১৭৮৪ সালে তারা আনুষ্ঠানিকভাবে দিল্লিতে সম্রাটের রক্ষক হয়ে উঠে। তৃতীয় ইঙ্গ-মারাঠা যুদ্ধের আগ পর্যন্ত এই অবস্থা বজায় ছিল। এরপর ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি মুঘল রাজবংশের রক্ষক হয়। সিপাহী বিদ্রোহের ব্যর্থতার পর শেষ মুঘল সম্রাটকে ক্ষমতাচ্যুত করে নির্বাসনে পাঠানো হয়। এরপর ইংল্যান্ডের রাণী ভিক্টোরিয়াকে ভারত সম্রাজ্ঞী ঘোষণা করা হয়। ইতিহাসবিদরা মুঘল সাম্রাজের পতনের বেশ কিছু কারণ উল্লেখ করেন। অর্থনৈতিক দিক থেকে সাম্রাজ্যে প্রধান কর্মচারী, আমিরদের বেতন দিতে প্রয়োজনীয় রাজস্ব ছিল না(তথ্যসূত্র প্রয়োজন)। আঞ্চলিক শাসকদের উপর সম্রাট নিজের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছিলেন। সেনাবাহিনীকে অধিক মাত্রায় আগ্রাসী মারাঠাদের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিনব্যপী চলমান যুদ্ধে অবতীর্ণ হতে হয় ফলে তারা মনোবল হারিয়ে ফেলে। ফররুখসিয়ারের মৃত্যুর পর স্থানীয় শাসকরা ক্ষমতা নিতে শুরু করে। ১৯৭০ এর দশক থেকে ইতিহাসবিদরা বেশ কয়েকভাবে পতনকে ব্যাখ্যা করেছেন। মনস্তাত্ত্বিক ব্যাখ্যায় দেখা যায় উচ্চশ্রেণীর মধ্যে অসাধুতা, অত্যধিক বিলাসিতা এবং সংকীর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি শাসকদের বাহ্যিক হুমকির ব্যাপারে অপ্রস্তুত করে তোলে। একটি মার্ক্সবাদী মতানুযায়ী, ধনীদের হাতে কৃষকদের নিপীড়নের কারণে শাসনের প্রতি জনসমর্থন কমে যায়। আরেকটি মতানুযায়ী হিন্দু ধনী সম্প্রদায় মুঘল সাম্রাজ্যের বদলে মারাঠা ও ব্রিটিশদের অর্থসহায়তা প্রদান করে।
কে মুঘল কর্তৃত্ব পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করেছিলেন ?
{ "text": [ "সম্রাট দ্বিতীয় শাহ আলম" ], "answer_start": [ 523 ] }
1511
null
১৭০৭ সালে তার মৃত্যুর পর সাম্রাজ্যের অনেক অংশ বিদ্রোহ করতে শুরু করে। আওরঙ্গজেবের ছেলে প্রথম বাহাদুর শাহ প্রশাসন সংস্কার করতে সচেষ্ট হয়েছিলেন। তবে ১৭১২ সালে তার মৃত্যুর পর মুঘল সাম্রাজ্য বিশৃঙ্খল অবস্থায় পড়ে। ১৭১৯ সালে চারজন দুর্বল সম্রাট পরপর শাসন করেছেন। মুহাম্মদ শাহের শাসনামলে সাম্রাজ্য ভেঙে পড়তে শুরু করে। মধ্য ভারতের অধিকাংশ মারাঠা সাম্রাজ্যের হাতে চলে যায়। নাদির শাহ দিল্লি আক্রমণ করেন এবং এতে মুঘল শক্তি দুর্বল হয়ে পড়ে। সাম্রাজ্যে অনেক স্বাধীন রাজ্যের উদ্ভব হয়। তবে মুঘল সম্রাটকে সর্বোচ্চ শাসক হিসেবে বিবেচনা করা হত। সম্রাট দ্বিতীয় শাহ আলম মুঘল কর্তৃত্ব পুনপ্রতিষ্ঠার জন্য প্রচেষ্টা চালান। কিন্তু তাকে বাইরের শক্তির উপর নির্ভর করতে হয়। এদের মধ্যে ছিলেন আফগানিস্তানের আমির আহমেদ শাহ আবদালি। ১৭৬১ সালে আবদালির নেতৃত্বাধীন আফগান ও মারাঠা সাম্রাজ্যের মধ্যে পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধ সংঘটিত হয়। পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধে মারাঠারা পরাজিত হলেও ১৭৭১ সালে মারাঠারা আফগান-মুঘলদের কাছ থেকে দিল্লি পুনর্দখল করে নেয় এবং ১৭৮৪ সালে তারা আনুষ্ঠানিকভাবে দিল্লিতে সম্রাটের রক্ষক হয়ে উঠে। তৃতীয় ইঙ্গ-মারাঠা যুদ্ধের আগ পর্যন্ত এই অবস্থা বজায় ছিল। এরপর ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি মুঘল রাজবংশের রক্ষক হয়। সিপাহী বিদ্রোহের ব্যর্থতার পর শেষ মুঘল সম্রাটকে ক্ষমতাচ্যুত করে নির্বাসনে পাঠানো হয়। এরপর ইংল্যান্ডের রাণী ভিক্টোরিয়াকে ভারত সম্রাজ্ঞী ঘোষণা করা হয়। ইতিহাসবিদরা মুঘল সাম্রাজের পতনের বেশ কিছু কারণ উল্লেখ করেন। অর্থনৈতিক দিক থেকে সাম্রাজ্যে প্রধান কর্মচারী, আমিরদের বেতন দিতে প্রয়োজনীয় রাজস্ব ছিল না(তথ্যসূত্র প্রয়োজন)। আঞ্চলিক শাসকদের উপর সম্রাট নিজের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছিলেন। সেনাবাহিনীকে অধিক মাত্রায় আগ্রাসী মারাঠাদের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিনব্যপী চলমান যুদ্ধে অবতীর্ণ হতে হয় ফলে তারা মনোবল হারিয়ে ফেলে। ফররুখসিয়ারের মৃত্যুর পর স্থানীয় শাসকরা ক্ষমতা নিতে শুরু করে। ১৯৭০ এর দশক থেকে ইতিহাসবিদরা বেশ কয়েকভাবে পতনকে ব্যাখ্যা করেছেন। মনস্তাত্ত্বিক ব্যাখ্যায় দেখা যায় উচ্চশ্রেণীর মধ্যে অসাধুতা, অত্যধিক বিলাসিতা এবং সংকীর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি শাসকদের বাহ্যিক হুমকির ব্যাপারে অপ্রস্তুত করে তোলে। একটি মার্ক্সবাদী মতানুযায়ী, ধনীদের হাতে কৃষকদের নিপীড়নের কারণে শাসনের প্রতি জনসমর্থন কমে যায়। আরেকটি মতানুযায়ী হিন্দু ধনী সম্প্রদায় মুঘল সাম্রাজ্যের বদলে মারাঠা ও ব্রিটিশদের অর্থসহায়তা প্রদান করে।
কোন সালে পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধ হয় ?
{ "text": [ "১৭৬১ সালে" ], "answer_start": [ 695 ] }
1512
null
১৭০৭ সালে তার মৃত্যুর পর সাম্রাজ্যের অনেক অংশ বিদ্রোহ করতে শুরু করে। আওরঙ্গজেবের ছেলে প্রথম বাহাদুর শাহ প্রশাসন সংস্কার করতে সচেষ্ট হয়েছিলেন। তবে ১৭১২ সালে তার মৃত্যুর পর মুঘল সাম্রাজ্য বিশৃঙ্খল অবস্থায় পড়ে। ১৭১৯ সালে চারজন দুর্বল সম্রাট পরপর শাসন করেছেন। মুহাম্মদ শাহের শাসনামলে সাম্রাজ্য ভেঙে পড়তে শুরু করে। মধ্য ভারতের অধিকাংশ মারাঠা সাম্রাজ্যের হাতে চলে যায়। নাদির শাহ দিল্লি আক্রমণ করেন এবং এতে মুঘল শক্তি দুর্বল হয়ে পড়ে। সাম্রাজ্যে অনেক স্বাধীন রাজ্যের উদ্ভব হয়। তবে মুঘল সম্রাটকে সর্বোচ্চ শাসক হিসেবে বিবেচনা করা হত। সম্রাট দ্বিতীয় শাহ আলম মুঘল কর্তৃত্ব পুনপ্রতিষ্ঠার জন্য প্রচেষ্টা চালান। কিন্তু তাকে বাইরের শক্তির উপর নির্ভর করতে হয়। এদের মধ্যে ছিলেন আফগানিস্তানের আমির আহমেদ শাহ আবদালি। ১৭৬১ সালে আবদালির নেতৃত্বাধীন আফগান ও মারাঠা সাম্রাজ্যের মধ্যে পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধ সংঘটিত হয়। পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধে মারাঠারা পরাজিত হলেও ১৭৭১ সালে মারাঠারা আফগান-মুঘলদের কাছ থেকে দিল্লি পুনর্দখল করে নেয় এবং ১৭৮৪ সালে তারা আনুষ্ঠানিকভাবে দিল্লিতে সম্রাটের রক্ষক হয়ে উঠে। তৃতীয় ইঙ্গ-মারাঠা যুদ্ধের আগ পর্যন্ত এই অবস্থা বজায় ছিল। এরপর ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি মুঘল রাজবংশের রক্ষক হয়। সিপাহী বিদ্রোহের ব্যর্থতার পর শেষ মুঘল সম্রাটকে ক্ষমতাচ্যুত করে নির্বাসনে পাঠানো হয়। এরপর ইংল্যান্ডের রাণী ভিক্টোরিয়াকে ভারত সম্রাজ্ঞী ঘোষণা করা হয়। ইতিহাসবিদরা মুঘল সাম্রাজের পতনের বেশ কিছু কারণ উল্লেখ করেন। অর্থনৈতিক দিক থেকে সাম্রাজ্যে প্রধান কর্মচারী, আমিরদের বেতন দিতে প্রয়োজনীয় রাজস্ব ছিল না(তথ্যসূত্র প্রয়োজন)। আঞ্চলিক শাসকদের উপর সম্রাট নিজের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছিলেন। সেনাবাহিনীকে অধিক মাত্রায় আগ্রাসী মারাঠাদের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিনব্যপী চলমান যুদ্ধে অবতীর্ণ হতে হয় ফলে তারা মনোবল হারিয়ে ফেলে। ফররুখসিয়ারের মৃত্যুর পর স্থানীয় শাসকরা ক্ষমতা নিতে শুরু করে। ১৯৭০ এর দশক থেকে ইতিহাসবিদরা বেশ কয়েকভাবে পতনকে ব্যাখ্যা করেছেন। মনস্তাত্ত্বিক ব্যাখ্যায় দেখা যায় উচ্চশ্রেণীর মধ্যে অসাধুতা, অত্যধিক বিলাসিতা এবং সংকীর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি শাসকদের বাহ্যিক হুমকির ব্যাপারে অপ্রস্তুত করে তোলে। একটি মার্ক্সবাদী মতানুযায়ী, ধনীদের হাতে কৃষকদের নিপীড়নের কারণে শাসনের প্রতি জনসমর্থন কমে যায়। আরেকটি মতানুযায়ী হিন্দু ধনী সম্প্রদায় মুঘল সাম্রাজ্যের বদলে মারাঠা ও ব্রিটিশদের অর্থসহায়তা প্রদান করে।
কোন দুই সাম্রাজ্যের মধ্যে পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধ হয় ?
{ "text": [ "আফগান ও মারাঠা সাম্রাজ্যের" ], "answer_start": [ 725 ] }
1513
null
১৭০৭ সালে তার মৃত্যুর পর সাম্রাজ্যের অনেক অংশ বিদ্রোহ করতে শুরু করে। আওরঙ্গজেবের ছেলে প্রথম বাহাদুর শাহ প্রশাসন সংস্কার করতে সচেষ্ট হয়েছিলেন। তবে ১৭১২ সালে তার মৃত্যুর পর মুঘল সাম্রাজ্য বিশৃঙ্খল অবস্থায় পড়ে। ১৭১৯ সালে চারজন দুর্বল সম্রাট পরপর শাসন করেছেন। মুহাম্মদ শাহের শাসনামলে সাম্রাজ্য ভেঙে পড়তে শুরু করে। মধ্য ভারতের অধিকাংশ মারাঠা সাম্রাজ্যের হাতে চলে যায়। নাদির শাহ দিল্লি আক্রমণ করেন এবং এতে মুঘল শক্তি দুর্বল হয়ে পড়ে। সাম্রাজ্যে অনেক স্বাধীন রাজ্যের উদ্ভব হয়। তবে মুঘল সম্রাটকে সর্বোচ্চ শাসক হিসেবে বিবেচনা করা হত। সম্রাট দ্বিতীয় শাহ আলম মুঘল কর্তৃত্ব পুনপ্রতিষ্ঠার জন্য প্রচেষ্টা চালান। কিন্তু তাকে বাইরের শক্তির উপর নির্ভর করতে হয়। এদের মধ্যে ছিলেন আফগানিস্তানের আমির আহমেদ শাহ আবদালি। ১৭৬১ সালে আবদালির নেতৃত্বাধীন আফগান ও মারাঠা সাম্রাজ্যের মধ্যে পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধ সংঘটিত হয়। পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধে মারাঠারা পরাজিত হলেও ১৭৭১ সালে মারাঠারা আফগান-মুঘলদের কাছ থেকে দিল্লি পুনর্দখল করে নেয় এবং ১৭৮৪ সালে তারা আনুষ্ঠানিকভাবে দিল্লিতে সম্রাটের রক্ষক হয়ে উঠে। তৃতীয় ইঙ্গ-মারাঠা যুদ্ধের আগ পর্যন্ত এই অবস্থা বজায় ছিল। এরপর ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি মুঘল রাজবংশের রক্ষক হয়। সিপাহী বিদ্রোহের ব্যর্থতার পর শেষ মুঘল সম্রাটকে ক্ষমতাচ্যুত করে নির্বাসনে পাঠানো হয়। এরপর ইংল্যান্ডের রাণী ভিক্টোরিয়াকে ভারত সম্রাজ্ঞী ঘোষণা করা হয়। ইতিহাসবিদরা মুঘল সাম্রাজের পতনের বেশ কিছু কারণ উল্লেখ করেন। অর্থনৈতিক দিক থেকে সাম্রাজ্যে প্রধান কর্মচারী, আমিরদের বেতন দিতে প্রয়োজনীয় রাজস্ব ছিল না(তথ্যসূত্র প্রয়োজন)। আঞ্চলিক শাসকদের উপর সম্রাট নিজের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছিলেন। সেনাবাহিনীকে অধিক মাত্রায় আগ্রাসী মারাঠাদের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিনব্যপী চলমান যুদ্ধে অবতীর্ণ হতে হয় ফলে তারা মনোবল হারিয়ে ফেলে। ফররুখসিয়ারের মৃত্যুর পর স্থানীয় শাসকরা ক্ষমতা নিতে শুরু করে। ১৯৭০ এর দশক থেকে ইতিহাসবিদরা বেশ কয়েকভাবে পতনকে ব্যাখ্যা করেছেন। মনস্তাত্ত্বিক ব্যাখ্যায় দেখা যায় উচ্চশ্রেণীর মধ্যে অসাধুতা, অত্যধিক বিলাসিতা এবং সংকীর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি শাসকদের বাহ্যিক হুমকির ব্যাপারে অপ্রস্তুত করে তোলে। একটি মার্ক্সবাদী মতানুযায়ী, ধনীদের হাতে কৃষকদের নিপীড়নের কারণে শাসনের প্রতি জনসমর্থন কমে যায়। আরেকটি মতানুযায়ী হিন্দু ধনী সম্প্রদায় মুঘল সাম্রাজ্যের বদলে মারাঠা ও ব্রিটিশদের অর্থসহায়তা প্রদান করে।
কি মুঘল সাম্রাজ্যের প্রদেশগুলোকে বৃহত্তর স্বাধীনতা অর্জনে উৎসাহিত করেছিল?
{ "text": [ "" ], "answer_start": [ null ] }
1514
null
১৭৭২ সালে কলকাতা ব্রিটিশ ভারতের রাজধানী ঘোষিত হয়। বাংলার নবজাগরণ ও ব্রাহ্মসমাজ-কেন্দ্রিক সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংস্কার আন্দোলন বাংলার সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক জীবনে গভীর প্রভাব বিস্তার করে। ১৮৫৭ সালের মহাবিদ্রোহের সূচনা কলকাতার অদূরেই হয়েছিল। এই বিদ্রোহ ব্যর্থ হলেও এর পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের শাসনভার কোম্পানির হাত থেকে ব্রিটিশ রাজশক্তি স্বহস্তে গ্রহণ করে। ভারত শাসনের জন্য একটি ভাইসরয়ের পদ সৃষ্টি করা হয়। ১৯০৫ সালে ধর্মীয় বিভাজনের ভিত্তিতে প্রথম পশ্চিমবঙ্গ (ভারতীয় বঙ্গ) অঞ্চলটিকে পূর্ববঙ্গ থেকে পৃথক করা হয়। কিন্তু বঙ্গবিভাগের এই প্রয়াস শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হয় এবং ১৯১১ সালে বঙ্গপ্রদেশকে পুনরায় একত্রিত করা হয়। ১৯৪৩ সালে পঞ্চাশের মন্বন্তরে বাংলায় ৩০ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয়। ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে বাংলা এক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করে। অনুশীলন সমিতি ও যুগান্তর দলের মতো বিপ্লবী দলগুলি এখানে অতিসক্রিয় হয়ে ওঠে। বাংলায় ব্রিটিশ শক্তির বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রাম চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছায় যখন সুভাষচন্দ্র বসু আজাদ হিন্দ ফৌজ গঠন করে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া থেকে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে প্রত্যক্ষ যুদ্ধে অবতীর্ণ হন। ১৯২০ সাল থেকে এই রাজ্যে বামপন্থী আন্দোলন তীব্র আকার ধারণ করে। সেই ধারা আজও অব্যাহত আছে। ১৯৪৭ সালে কংগ্রেস ও মুসলিম লীগের চক্রান্তে ভারত স্বাধীনতা অর্জন ধর্মের ভিত্তিতে বাংলা দ্বিধাবিভক্ত হয়। হিন্দুপ্রধান পশ্চিমবঙ্গ ভারতের অন্তর্ভুক্ত হয় এবং মুসলমানপ্রধান পূর্ববঙ্গ নবগঠিত রাষ্ট্র পাকিস্তানে যোগ দেয় (এই অঞ্চলটি পরে পূর্ব পাকিস্তান নামে পরিচিত হয় এবং ১৯৭১ সালে স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে)। দেশভাগের পর পূর্ববঙ্গ থেকে লক্ষ লক্ষ হিন্দু পশ্চিমবঙ্গে চলে আসেন। এই ব্যাপক অভিবাসনের ফলে পশ্চিমবঙ্গে খাদ্য ও বাসস্থানের সমস্যা দেখা দেয়। ১৯৫০ সালে দেশীয় রাজ্য কোচবিহারের রাজা জগদ্দীপেন্দ্র নারায়ণ ভারত সরকারের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হলে কোচবিহার পশ্চিমবঙ্গের একটি জেলায় পরিণত হয়। ১৯৫৫ সালে ফরাসি উপনিবেশ চন্দননগর পশ্চিমবঙ্গের অন্তর্ভুক্ত হয়। বিহারের কিছু বাংলা-ভাষী অঞ্চলও এই সময় পশ্চিমবঙ্গের অন্তর্ভুক্ত হয়। ১৯৭০ ও ১৯৮০-এর দশকে ব্যাপক বিদ্যুৎ বিপর্যয়, ধর্মঘট ও সহিংস মার্ক্সবাদী-নকশালবাদী আন্দোলনের ফলে রাজ্যের শিল্প পরিকাঠামো ভেঙে পড়ে। এর ফলে এক অর্থনৈতিক স্থবিরতার যুগের সূত্রপাত হয়। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের সময় প্রায় এক কোটি শরণার্থী পশ্চিমবঙ্গে আশ্রয় নেয়। সেই সময় নকশালবাদের সাথে কংগ্রেসের চক্রান্তের ফলে রাজ্যের পরিকাঠামোয় গভীর চাপ সৃষ্টি হয়। ১৯৭৪ সালের বসন্ত মহামারীতে রাজ্যে সহস্রাধিক মানুষের মৃত্যু হয়। ১৯৭৭ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসকে পরাজিত করে বামফ্রন্ট ক্ষমতায় এলে রাজ্যে গুরুত্বপূর্ণ এক রাজনৈতিক পরিবর্তন সূচিত হয়। এরপর তিন দশকেরও বেশি সময় ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী) (সিপিআই(এম)) নেতৃত্বাধীন বামফ্রন্ট সরকার রাজ্যে শাসনভার পরিচালনা করে। ১৯৯০-এর দশকের মধ্যভাগে ভারত সরকারের অর্থনৈতিক সংস্কার এবং ২০০০ সালে সংস্কারপন্থী নতুন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের নির্বাচনের পর রাজ্যের অর্থনৈতিক উন্নতি ত্বরান্বিত হয়। বর্তমানে রাজ্যের বিভিন্ন অংশে ছোটোবড়ো বেশ কয়েকটি সশস্ত্র জঙ্গিহানার ঘটনা ঘটেছে। আবার শিল্পায়নের জন্য জমি অধিগ্রহণকে কেন্দ্র করে প্রশাসনের সঙ্গে স্থানীয় অধিবাসীদের একাধিক সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে। ২০০৬ সালে হুগলির সিঙ্গুরে টাটা ন্যানো কারখানার জন্য জমি অধিগ্রহণকে কেন্দ্র করে স্থানীয় কৃষকদের মধ্যে তীব্র গণ-অসন্তোষ দেখা যায়।
কত সালে প্রথম পশ্চিমবঙ্গ (ভারতীয় বাংলা) অঞ্চল ধর্মীয় বিভাজনের ভিত্তিতে পূর্ববঙ্গ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়?
{ "text": [ "১৯০৫ সালে" ], "answer_start": [ 397 ] }
1515
null
১৭৭২ সালে কলকাতা ব্রিটিশ ভারতের রাজধানী ঘোষিত হয়। বাংলার নবজাগরণ ও ব্রাহ্মসমাজ-কেন্দ্রিক সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংস্কার আন্দোলন বাংলার সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক জীবনে গভীর প্রভাব বিস্তার করে। ১৮৫৭ সালের মহাবিদ্রোহের সূচনা কলকাতার অদূরেই হয়েছিল। এই বিদ্রোহ ব্যর্থ হলেও এর পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের শাসনভার কোম্পানির হাত থেকে ব্রিটিশ রাজশক্তি স্বহস্তে গ্রহণ করে। ভারত শাসনের জন্য একটি ভাইসরয়ের পদ সৃষ্টি করা হয়। ১৯০৫ সালে ধর্মীয় বিভাজনের ভিত্তিতে প্রথম পশ্চিমবঙ্গ (ভারতীয় বঙ্গ) অঞ্চলটিকে পূর্ববঙ্গ থেকে পৃথক করা হয়। কিন্তু বঙ্গবিভাগের এই প্রয়াস শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হয় এবং ১৯১১ সালে বঙ্গপ্রদেশকে পুনরায় একত্রিত করা হয়। ১৯৪৩ সালে পঞ্চাশের মন্বন্তরে বাংলায় ৩০ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয়। ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে বাংলা এক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করে। অনুশীলন সমিতি ও যুগান্তর দলের মতো বিপ্লবী দলগুলি এখানে অতিসক্রিয় হয়ে ওঠে। বাংলায় ব্রিটিশ শক্তির বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রাম চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছায় যখন সুভাষচন্দ্র বসু আজাদ হিন্দ ফৌজ গঠন করে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া থেকে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে প্রত্যক্ষ যুদ্ধে অবতীর্ণ হন। ১৯২০ সাল থেকে এই রাজ্যে বামপন্থী আন্দোলন তীব্র আকার ধারণ করে। সেই ধারা আজও অব্যাহত আছে। ১৯৪৭ সালে কংগ্রেস ও মুসলিম লীগের চক্রান্তে ভারত স্বাধীনতা অর্জন ধর্মের ভিত্তিতে বাংলা দ্বিধাবিভক্ত হয়। হিন্দুপ্রধান পশ্চিমবঙ্গ ভারতের অন্তর্ভুক্ত হয় এবং মুসলমানপ্রধান পূর্ববঙ্গ নবগঠিত রাষ্ট্র পাকিস্তানে যোগ দেয় (এই অঞ্চলটি পরে পূর্ব পাকিস্তান নামে পরিচিত হয় এবং ১৯৭১ সালে স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে)। দেশভাগের পর পূর্ববঙ্গ থেকে লক্ষ লক্ষ হিন্দু পশ্চিমবঙ্গে চলে আসেন। এই ব্যাপক অভিবাসনের ফলে পশ্চিমবঙ্গে খাদ্য ও বাসস্থানের সমস্যা দেখা দেয়। ১৯৫০ সালে দেশীয় রাজ্য কোচবিহারের রাজা জগদ্দীপেন্দ্র নারায়ণ ভারত সরকারের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হলে কোচবিহার পশ্চিমবঙ্গের একটি জেলায় পরিণত হয়। ১৯৫৫ সালে ফরাসি উপনিবেশ চন্দননগর পশ্চিমবঙ্গের অন্তর্ভুক্ত হয়। বিহারের কিছু বাংলা-ভাষী অঞ্চলও এই সময় পশ্চিমবঙ্গের অন্তর্ভুক্ত হয়। ১৯৭০ ও ১৯৮০-এর দশকে ব্যাপক বিদ্যুৎ বিপর্যয়, ধর্মঘট ও সহিংস মার্ক্সবাদী-নকশালবাদী আন্দোলনের ফলে রাজ্যের শিল্প পরিকাঠামো ভেঙে পড়ে। এর ফলে এক অর্থনৈতিক স্থবিরতার যুগের সূত্রপাত হয়। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের সময় প্রায় এক কোটি শরণার্থী পশ্চিমবঙ্গে আশ্রয় নেয়। সেই সময় নকশালবাদের সাথে কংগ্রেসের চক্রান্তের ফলে রাজ্যের পরিকাঠামোয় গভীর চাপ সৃষ্টি হয়। ১৯৭৪ সালের বসন্ত মহামারীতে রাজ্যে সহস্রাধিক মানুষের মৃত্যু হয়। ১৯৭৭ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসকে পরাজিত করে বামফ্রন্ট ক্ষমতায় এলে রাজ্যে গুরুত্বপূর্ণ এক রাজনৈতিক পরিবর্তন সূচিত হয়। এরপর তিন দশকেরও বেশি সময় ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী) (সিপিআই(এম)) নেতৃত্বাধীন বামফ্রন্ট সরকার রাজ্যে শাসনভার পরিচালনা করে। ১৯৯০-এর দশকের মধ্যভাগে ভারত সরকারের অর্থনৈতিক সংস্কার এবং ২০০০ সালে সংস্কারপন্থী নতুন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের নির্বাচনের পর রাজ্যের অর্থনৈতিক উন্নতি ত্বরান্বিত হয়। বর্তমানে রাজ্যের বিভিন্ন অংশে ছোটোবড়ো বেশ কয়েকটি সশস্ত্র জঙ্গিহানার ঘটনা ঘটেছে। আবার শিল্পায়নের জন্য জমি অধিগ্রহণকে কেন্দ্র করে প্রশাসনের সঙ্গে স্থানীয় অধিবাসীদের একাধিক সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে। ২০০৬ সালে হুগলির সিঙ্গুরে টাটা ন্যানো কারখানার জন্য জমি অধিগ্রহণকে কেন্দ্র করে স্থানীয় কৃষকদের মধ্যে তীব্র গণ-অসন্তোষ দেখা যায়।
২০০৭ সালে নন্দীগ্রামে পুলিশের গুলিতে কতজন নিহত হন ?
{ "text": [ "" ], "answer_start": [ null ] }
1516
null
১৭৭২ সালে কলকাতা ব্রিটিশ ভারতের রাজধানী ঘোষিত হয়। বাংলার নবজাগরণ ও ব্রাহ্মসমাজ-কেন্দ্রিক সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংস্কার আন্দোলন বাংলার সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক জীবনে গভীর প্রভাব বিস্তার করে। ১৮৫৭ সালের মহাবিদ্রোহের সূচনা কলকাতার অদূরেই হয়েছিল। এই বিদ্রোহ ব্যর্থ হলেও এর পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের শাসনভার কোম্পানির হাত থেকে ব্রিটিশ রাজশক্তি স্বহস্তে গ্রহণ করে। ভারত শাসনের জন্য একটি ভাইসরয়ের পদ সৃষ্টি করা হয়। ১৯০৫ সালে ধর্মীয় বিভাজনের ভিত্তিতে প্রথম পশ্চিমবঙ্গ (ভারতীয় বঙ্গ) অঞ্চলটিকে পূর্ববঙ্গ থেকে পৃথক করা হয়। কিন্তু বঙ্গবিভাগের এই প্রয়াস শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হয় এবং ১৯১১ সালে বঙ্গপ্রদেশকে পুনরায় একত্রিত করা হয়। ১৯৪৩ সালে পঞ্চাশের মন্বন্তরে বাংলায় ৩০ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয়। ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে বাংলা এক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করে। অনুশীলন সমিতি ও যুগান্তর দলের মতো বিপ্লবী দলগুলি এখানে অতিসক্রিয় হয়ে ওঠে। বাংলায় ব্রিটিশ শক্তির বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রাম চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছায় যখন সুভাষচন্দ্র বসু আজাদ হিন্দ ফৌজ গঠন করে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া থেকে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে প্রত্যক্ষ যুদ্ধে অবতীর্ণ হন। ১৯২০ সাল থেকে এই রাজ্যে বামপন্থী আন্দোলন তীব্র আকার ধারণ করে। সেই ধারা আজও অব্যাহত আছে। ১৯৪৭ সালে কংগ্রেস ও মুসলিম লীগের চক্রান্তে ভারত স্বাধীনতা অর্জন ধর্মের ভিত্তিতে বাংলা দ্বিধাবিভক্ত হয়। হিন্দুপ্রধান পশ্চিমবঙ্গ ভারতের অন্তর্ভুক্ত হয় এবং মুসলমানপ্রধান পূর্ববঙ্গ নবগঠিত রাষ্ট্র পাকিস্তানে যোগ দেয় (এই অঞ্চলটি পরে পূর্ব পাকিস্তান নামে পরিচিত হয় এবং ১৯৭১ সালে স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে)। দেশভাগের পর পূর্ববঙ্গ থেকে লক্ষ লক্ষ হিন্দু পশ্চিমবঙ্গে চলে আসেন। এই ব্যাপক অভিবাসনের ফলে পশ্চিমবঙ্গে খাদ্য ও বাসস্থানের সমস্যা দেখা দেয়। ১৯৫০ সালে দেশীয় রাজ্য কোচবিহারের রাজা জগদ্দীপেন্দ্র নারায়ণ ভারত সরকারের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হলে কোচবিহার পশ্চিমবঙ্গের একটি জেলায় পরিণত হয়। ১৯৫৫ সালে ফরাসি উপনিবেশ চন্দননগর পশ্চিমবঙ্গের অন্তর্ভুক্ত হয়। বিহারের কিছু বাংলা-ভাষী অঞ্চলও এই সময় পশ্চিমবঙ্গের অন্তর্ভুক্ত হয়। ১৯৭০ ও ১৯৮০-এর দশকে ব্যাপক বিদ্যুৎ বিপর্যয়, ধর্মঘট ও সহিংস মার্ক্সবাদী-নকশালবাদী আন্দোলনের ফলে রাজ্যের শিল্প পরিকাঠামো ভেঙে পড়ে। এর ফলে এক অর্থনৈতিক স্থবিরতার যুগের সূত্রপাত হয়। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের সময় প্রায় এক কোটি শরণার্থী পশ্চিমবঙ্গে আশ্রয় নেয়। সেই সময় নকশালবাদের সাথে কংগ্রেসের চক্রান্তের ফলে রাজ্যের পরিকাঠামোয় গভীর চাপ সৃষ্টি হয়। ১৯৭৪ সালের বসন্ত মহামারীতে রাজ্যে সহস্রাধিক মানুষের মৃত্যু হয়। ১৯৭৭ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসকে পরাজিত করে বামফ্রন্ট ক্ষমতায় এলে রাজ্যে গুরুত্বপূর্ণ এক রাজনৈতিক পরিবর্তন সূচিত হয়। এরপর তিন দশকেরও বেশি সময় ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী) (সিপিআই(এম)) নেতৃত্বাধীন বামফ্রন্ট সরকার রাজ্যে শাসনভার পরিচালনা করে। ১৯৯০-এর দশকের মধ্যভাগে ভারত সরকারের অর্থনৈতিক সংস্কার এবং ২০০০ সালে সংস্কারপন্থী নতুন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের নির্বাচনের পর রাজ্যের অর্থনৈতিক উন্নতি ত্বরান্বিত হয়। বর্তমানে রাজ্যের বিভিন্ন অংশে ছোটোবড়ো বেশ কয়েকটি সশস্ত্র জঙ্গিহানার ঘটনা ঘটেছে। আবার শিল্পায়নের জন্য জমি অধিগ্রহণকে কেন্দ্র করে প্রশাসনের সঙ্গে স্থানীয় অধিবাসীদের একাধিক সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে। ২০০৬ সালে হুগলির সিঙ্গুরে টাটা ন্যানো কারখানার জন্য জমি অধিগ্রহণকে কেন্দ্র করে স্থানীয় কৃষকদের মধ্যে তীব্র গণ-অসন্তোষ দেখা যায়।
পশ্চিমবঙ্গে বামফ্রন্ট শাসনের অবসান কোন সালে ঘটে ?
{ "text": [ "" ], "answer_start": [ null ] }
1517
null
১৭৭২ সালে কলকাতা ব্রিটিশ ভারতের রাজধানী ঘোষিত হয়। বাংলার নবজাগরণ ও ব্রাহ্মসমাজ-কেন্দ্রিক সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংস্কার আন্দোলন বাংলার সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক জীবনে গভীর প্রভাব বিস্তার করে। ১৮৫৭ সালের মহাবিদ্রোহের সূচনা কলকাতার অদূরেই হয়েছিল। এই বিদ্রোহ ব্যর্থ হলেও এর পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের শাসনভার কোম্পানির হাত থেকে ব্রিটিশ রাজশক্তি স্বহস্তে গ্রহণ করে। ভারত শাসনের জন্য একটি ভাইসরয়ের পদ সৃষ্টি করা হয়। ১৯০৫ সালে ধর্মীয় বিভাজনের ভিত্তিতে প্রথম পশ্চিমবঙ্গ (ভারতীয় বঙ্গ) অঞ্চলটিকে পূর্ববঙ্গ থেকে পৃথক করা হয়। কিন্তু বঙ্গবিভাগের এই প্রয়াস শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হয় এবং ১৯১১ সালে বঙ্গপ্রদেশকে পুনরায় একত্রিত করা হয়। ১৯৪৩ সালে পঞ্চাশের মন্বন্তরে বাংলায় ৩০ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয়। ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে বাংলা এক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করে। অনুশীলন সমিতি ও যুগান্তর দলের মতো বিপ্লবী দলগুলি এখানে অতিসক্রিয় হয়ে ওঠে। বাংলায় ব্রিটিশ শক্তির বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রাম চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছায় যখন সুভাষচন্দ্র বসু আজাদ হিন্দ ফৌজ গঠন করে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া থেকে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে প্রত্যক্ষ যুদ্ধে অবতীর্ণ হন। ১৯২০ সাল থেকে এই রাজ্যে বামপন্থী আন্দোলন তীব্র আকার ধারণ করে। সেই ধারা আজও অব্যাহত আছে। ১৯৪৭ সালে কংগ্রেস ও মুসলিম লীগের চক্রান্তে ভারত স্বাধীনতা অর্জন ধর্মের ভিত্তিতে বাংলা দ্বিধাবিভক্ত হয়। হিন্দুপ্রধান পশ্চিমবঙ্গ ভারতের অন্তর্ভুক্ত হয় এবং মুসলমানপ্রধান পূর্ববঙ্গ নবগঠিত রাষ্ট্র পাকিস্তানে যোগ দেয় (এই অঞ্চলটি পরে পূর্ব পাকিস্তান নামে পরিচিত হয় এবং ১৯৭১ সালে স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে)। দেশভাগের পর পূর্ববঙ্গ থেকে লক্ষ লক্ষ হিন্দু পশ্চিমবঙ্গে চলে আসেন। এই ব্যাপক অভিবাসনের ফলে পশ্চিমবঙ্গে খাদ্য ও বাসস্থানের সমস্যা দেখা দেয়। ১৯৫০ সালে দেশীয় রাজ্য কোচবিহারের রাজা জগদ্দীপেন্দ্র নারায়ণ ভারত সরকারের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হলে কোচবিহার পশ্চিমবঙ্গের একটি জেলায় পরিণত হয়। ১৯৫৫ সালে ফরাসি উপনিবেশ চন্দননগর পশ্চিমবঙ্গের অন্তর্ভুক্ত হয়। বিহারের কিছু বাংলা-ভাষী অঞ্চলও এই সময় পশ্চিমবঙ্গের অন্তর্ভুক্ত হয়। ১৯৭০ ও ১৯৮০-এর দশকে ব্যাপক বিদ্যুৎ বিপর্যয়, ধর্মঘট ও সহিংস মার্ক্সবাদী-নকশালবাদী আন্দোলনের ফলে রাজ্যের শিল্প পরিকাঠামো ভেঙে পড়ে। এর ফলে এক অর্থনৈতিক স্থবিরতার যুগের সূত্রপাত হয়। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের সময় প্রায় এক কোটি শরণার্থী পশ্চিমবঙ্গে আশ্রয় নেয়। সেই সময় নকশালবাদের সাথে কংগ্রেসের চক্রান্তের ফলে রাজ্যের পরিকাঠামোয় গভীর চাপ সৃষ্টি হয়। ১৯৭৪ সালের বসন্ত মহামারীতে রাজ্যে সহস্রাধিক মানুষের মৃত্যু হয়। ১৯৭৭ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসকে পরাজিত করে বামফ্রন্ট ক্ষমতায় এলে রাজ্যে গুরুত্বপূর্ণ এক রাজনৈতিক পরিবর্তন সূচিত হয়। এরপর তিন দশকেরও বেশি সময় ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী) (সিপিআই(এম)) নেতৃত্বাধীন বামফ্রন্ট সরকার রাজ্যে শাসনভার পরিচালনা করে। ১৯৯০-এর দশকের মধ্যভাগে ভারত সরকারের অর্থনৈতিক সংস্কার এবং ২০০০ সালে সংস্কারপন্থী নতুন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের নির্বাচনের পর রাজ্যের অর্থনৈতিক উন্নতি ত্বরান্বিত হয়। বর্তমানে রাজ্যের বিভিন্ন অংশে ছোটোবড়ো বেশ কয়েকটি সশস্ত্র জঙ্গিহানার ঘটনা ঘটেছে। আবার শিল্পায়নের জন্য জমি অধিগ্রহণকে কেন্দ্র করে প্রশাসনের সঙ্গে স্থানীয় অধিবাসীদের একাধিক সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে। ২০০৬ সালে হুগলির সিঙ্গুরে টাটা ন্যানো কারখানার জন্য জমি অধিগ্রহণকে কেন্দ্র করে স্থানীয় কৃষকদের মধ্যে তীব্র গণ-অসন্তোষ দেখা যায়।
১৭৭২ সালে কাকে ব্রিটিশ ভারতের রাজধানী ঘোষণা করা হয় ?
{ "text": [ "কলকাতা" ], "answer_start": [ 10 ] }
1518
null
১৭৭২ সালে কলকাতা ব্রিটিশ ভারতের রাজধানী ঘোষিত হয়। বাংলার নবজাগরণ ও ব্রাহ্মসমাজ-কেন্দ্রিক সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংস্কার আন্দোলন বাংলার সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক জীবনে গভীর প্রভাব বিস্তার করে। ১৮৫৭ সালের মহাবিদ্রোহের সূচনা কলকাতার অদূরেই হয়েছিল। এই বিদ্রোহ ব্যর্থ হলেও এর পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের শাসনভার কোম্পানির হাত থেকে ব্রিটিশ রাজশক্তি স্বহস্তে গ্রহণ করে। ভারত শাসনের জন্য একটি ভাইসরয়ের পদ সৃষ্টি করা হয়। ১৯০৫ সালে ধর্মীয় বিভাজনের ভিত্তিতে প্রথম পশ্চিমবঙ্গ (ভারতীয় বঙ্গ) অঞ্চলটিকে পূর্ববঙ্গ থেকে পৃথক করা হয়। কিন্তু বঙ্গবিভাগের এই প্রয়াস শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হয় এবং ১৯১১ সালে বঙ্গপ্রদেশকে পুনরায় একত্রিত করা হয়। ১৯৪৩ সালে পঞ্চাশের মন্বন্তরে বাংলায় ৩০ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয়। ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে বাংলা এক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করে। অনুশীলন সমিতি ও যুগান্তর দলের মতো বিপ্লবী দলগুলি এখানে অতিসক্রিয় হয়ে ওঠে। বাংলায় ব্রিটিশ শক্তির বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রাম চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছায় যখন সুভাষচন্দ্র বসু আজাদ হিন্দ ফৌজ গঠন করে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া থেকে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে প্রত্যক্ষ যুদ্ধে অবতীর্ণ হন। ১৯২০ সাল থেকে এই রাজ্যে বামপন্থী আন্দোলন তীব্র আকার ধারণ করে। সেই ধারা আজও অব্যাহত আছে। ১৯৪৭ সালে কংগ্রেস ও মুসলিম লীগের চক্রান্তে ভারত স্বাধীনতা অর্জন ধর্মের ভিত্তিতে বাংলা দ্বিধাবিভক্ত হয়। হিন্দুপ্রধান পশ্চিমবঙ্গ ভারতের অন্তর্ভুক্ত হয় এবং মুসলমানপ্রধান পূর্ববঙ্গ নবগঠিত রাষ্ট্র পাকিস্তানে যোগ দেয় (এই অঞ্চলটি পরে পূর্ব পাকিস্তান নামে পরিচিত হয় এবং ১৯৭১ সালে স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে)। দেশভাগের পর পূর্ববঙ্গ থেকে লক্ষ লক্ষ হিন্দু পশ্চিমবঙ্গে চলে আসেন। এই ব্যাপক অভিবাসনের ফলে পশ্চিমবঙ্গে খাদ্য ও বাসস্থানের সমস্যা দেখা দেয়। ১৯৫০ সালে দেশীয় রাজ্য কোচবিহারের রাজা জগদ্দীপেন্দ্র নারায়ণ ভারত সরকারের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হলে কোচবিহার পশ্চিমবঙ্গের একটি জেলায় পরিণত হয়। ১৯৫৫ সালে ফরাসি উপনিবেশ চন্দননগর পশ্চিমবঙ্গের অন্তর্ভুক্ত হয়। বিহারের কিছু বাংলা-ভাষী অঞ্চলও এই সময় পশ্চিমবঙ্গের অন্তর্ভুক্ত হয়। ১৯৭০ ও ১৯৮০-এর দশকে ব্যাপক বিদ্যুৎ বিপর্যয়, ধর্মঘট ও সহিংস মার্ক্সবাদী-নকশালবাদী আন্দোলনের ফলে রাজ্যের শিল্প পরিকাঠামো ভেঙে পড়ে। এর ফলে এক অর্থনৈতিক স্থবিরতার যুগের সূত্রপাত হয়। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের সময় প্রায় এক কোটি শরণার্থী পশ্চিমবঙ্গে আশ্রয় নেয়। সেই সময় নকশালবাদের সাথে কংগ্রেসের চক্রান্তের ফলে রাজ্যের পরিকাঠামোয় গভীর চাপ সৃষ্টি হয়। ১৯৭৪ সালের বসন্ত মহামারীতে রাজ্যে সহস্রাধিক মানুষের মৃত্যু হয়। ১৯৭৭ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসকে পরাজিত করে বামফ্রন্ট ক্ষমতায় এলে রাজ্যে গুরুত্বপূর্ণ এক রাজনৈতিক পরিবর্তন সূচিত হয়। এরপর তিন দশকেরও বেশি সময় ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী) (সিপিআই(এম)) নেতৃত্বাধীন বামফ্রন্ট সরকার রাজ্যে শাসনভার পরিচালনা করে। ১৯৯০-এর দশকের মধ্যভাগে ভারত সরকারের অর্থনৈতিক সংস্কার এবং ২০০০ সালে সংস্কারপন্থী নতুন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের নির্বাচনের পর রাজ্যের অর্থনৈতিক উন্নতি ত্বরান্বিত হয়। বর্তমানে রাজ্যের বিভিন্ন অংশে ছোটোবড়ো বেশ কয়েকটি সশস্ত্র জঙ্গিহানার ঘটনা ঘটেছে। আবার শিল্পায়নের জন্য জমি অধিগ্রহণকে কেন্দ্র করে প্রশাসনের সঙ্গে স্থানীয় অধিবাসীদের একাধিক সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে। ২০০৬ সালে হুগলির সিঙ্গুরে টাটা ন্যানো কারখানার জন্য জমি অধিগ্রহণকে কেন্দ্র করে স্থানীয় কৃষকদের মধ্যে তীব্র গণ-অসন্তোষ দেখা যায়।
কত সালে কলকাতাকে ব্রিটিশ ভারতের রাজধানী ঘোষণা করা হয়?
{ "text": [ "১৭৭২ সালে" ], "answer_start": [ 0 ] }
1519
null
১৭৭২ সালে কলকাতা ব্রিটিশ ভারতের রাজধানী ঘোষিত হয়। বাংলার নবজাগরণ ও ব্রাহ্মসমাজ-কেন্দ্রিক সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংস্কার আন্দোলন বাংলার সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক জীবনে গভীর প্রভাব বিস্তার করে। ১৮৫৭ সালের মহাবিদ্রোহের সূচনা কলকাতার অদূরেই হয়েছিল। এই বিদ্রোহ ব্যর্থ হলেও এর পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের শাসনভার কোম্পানির হাত থেকে ব্রিটিশ রাজশক্তি স্বহস্তে গ্রহণ করে। ভারত শাসনের জন্য একটি ভাইসরয়ের পদ সৃষ্টি করা হয়। ১৯০৫ সালে ধর্মীয় বিভাজনের ভিত্তিতে প্রথম পশ্চিমবঙ্গ (ভারতীয় বঙ্গ) অঞ্চলটিকে পূর্ববঙ্গ থেকে পৃথক করা হয়। কিন্তু বঙ্গবিভাগের এই প্রয়াস শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হয় এবং ১৯১১ সালে বঙ্গপ্রদেশকে পুনরায় একত্রিত করা হয়। ১৯৪৩ সালে পঞ্চাশের মন্বন্তরে বাংলায় ৩০ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয়। ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে বাংলা এক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করে। অনুশীলন সমিতি ও যুগান্তর দলের মতো বিপ্লবী দলগুলি এখানে অতিসক্রিয় হয়ে ওঠে। বাংলায় ব্রিটিশ শক্তির বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রাম চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছায় যখন সুভাষচন্দ্র বসু আজাদ হিন্দ ফৌজ গঠন করে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া থেকে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে প্রত্যক্ষ যুদ্ধে অবতীর্ণ হন। ১৯২০ সাল থেকে এই রাজ্যে বামপন্থী আন্দোলন তীব্র আকার ধারণ করে। সেই ধারা আজও অব্যাহত আছে। ১৯৪৭ সালে কংগ্রেস ও মুসলিম লীগের চক্রান্তে ভারত স্বাধীনতা অর্জন ধর্মের ভিত্তিতে বাংলা দ্বিধাবিভক্ত হয়। হিন্দুপ্রধান পশ্চিমবঙ্গ ভারতের অন্তর্ভুক্ত হয় এবং মুসলমানপ্রধান পূর্ববঙ্গ নবগঠিত রাষ্ট্র পাকিস্তানে যোগ দেয় (এই অঞ্চলটি পরে পূর্ব পাকিস্তান নামে পরিচিত হয় এবং ১৯৭১ সালে স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে)। দেশভাগের পর পূর্ববঙ্গ থেকে লক্ষ লক্ষ হিন্দু পশ্চিমবঙ্গে চলে আসেন। এই ব্যাপক অভিবাসনের ফলে পশ্চিমবঙ্গে খাদ্য ও বাসস্থানের সমস্যা দেখা দেয়। ১৯৫০ সালে দেশীয় রাজ্য কোচবিহারের রাজা জগদ্দীপেন্দ্র নারায়ণ ভারত সরকারের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হলে কোচবিহার পশ্চিমবঙ্গের একটি জেলায় পরিণত হয়। ১৯৫৫ সালে ফরাসি উপনিবেশ চন্দননগর পশ্চিমবঙ্গের অন্তর্ভুক্ত হয়। বিহারের কিছু বাংলা-ভাষী অঞ্চলও এই সময় পশ্চিমবঙ্গের অন্তর্ভুক্ত হয়। ১৯৭০ ও ১৯৮০-এর দশকে ব্যাপক বিদ্যুৎ বিপর্যয়, ধর্মঘট ও সহিংস মার্ক্সবাদী-নকশালবাদী আন্দোলনের ফলে রাজ্যের শিল্প পরিকাঠামো ভেঙে পড়ে। এর ফলে এক অর্থনৈতিক স্থবিরতার যুগের সূত্রপাত হয়। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের সময় প্রায় এক কোটি শরণার্থী পশ্চিমবঙ্গে আশ্রয় নেয়। সেই সময় নকশালবাদের সাথে কংগ্রেসের চক্রান্তের ফলে রাজ্যের পরিকাঠামোয় গভীর চাপ সৃষ্টি হয়। ১৯৭৪ সালের বসন্ত মহামারীতে রাজ্যে সহস্রাধিক মানুষের মৃত্যু হয়। ১৯৭৭ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসকে পরাজিত করে বামফ্রন্ট ক্ষমতায় এলে রাজ্যে গুরুত্বপূর্ণ এক রাজনৈতিক পরিবর্তন সূচিত হয়। এরপর তিন দশকেরও বেশি সময় ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী) (সিপিআই(এম)) নেতৃত্বাধীন বামফ্রন্ট সরকার রাজ্যে শাসনভার পরিচালনা করে। ১৯৯০-এর দশকের মধ্যভাগে ভারত সরকারের অর্থনৈতিক সংস্কার এবং ২০০০ সালে সংস্কারপন্থী নতুন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের নির্বাচনের পর রাজ্যের অর্থনৈতিক উন্নতি ত্বরান্বিত হয়। বর্তমানে রাজ্যের বিভিন্ন অংশে ছোটোবড়ো বেশ কয়েকটি সশস্ত্র জঙ্গিহানার ঘটনা ঘটেছে। আবার শিল্পায়নের জন্য জমি অধিগ্রহণকে কেন্দ্র করে প্রশাসনের সঙ্গে স্থানীয় অধিবাসীদের একাধিক সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে। ২০০৬ সালে হুগলির সিঙ্গুরে টাটা ন্যানো কারখানার জন্য জমি অধিগ্রহণকে কেন্দ্র করে স্থানীয় কৃষকদের মধ্যে তীব্র গণ-অসন্তোষ দেখা যায়।
মহাবিদ্রোহ কত সালে শুরু হয়েছিল?
{ "text": [ "১৮৫৭ সালে" ], "answer_start": [ 184 ] }
1520
null
১৭৭২ সালে কলকাতা ব্রিটিশ ভারতের রাজধানী ঘোষিত হয়। বাংলার নবজাগরণ ও ব্রাহ্মসমাজ-কেন্দ্রিক সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংস্কার আন্দোলন বাংলার সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক জীবনে গভীর প্রভাব বিস্তার করে। ১৮৫৭ সালের মহাবিদ্রোহের সূচনা কলকাতার অদূরেই হয়েছিল। এই বিদ্রোহ ব্যর্থ হলেও এর পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের শাসনভার কোম্পানির হাত থেকে ব্রিটিশ রাজশক্তি স্বহস্তে গ্রহণ করে। ভারত শাসনের জন্য একটি ভাইসরয়ের পদ সৃষ্টি করা হয়। ১৯০৫ সালে ধর্মীয় বিভাজনের ভিত্তিতে প্রথম পশ্চিমবঙ্গ (ভারতীয় বঙ্গ) অঞ্চলটিকে পূর্ববঙ্গ থেকে পৃথক করা হয়। কিন্তু বঙ্গবিভাগের এই প্রয়াস শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হয় এবং ১৯১১ সালে বঙ্গপ্রদেশকে পুনরায় একত্রিত করা হয়। ১৯৪৩ সালে পঞ্চাশের মন্বন্তরে বাংলায় ৩০ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয়। ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে বাংলা এক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করে। অনুশীলন সমিতি ও যুগান্তর দলের মতো বিপ্লবী দলগুলি এখানে অতিসক্রিয় হয়ে ওঠে। বাংলায় ব্রিটিশ শক্তির বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রাম চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছায় যখন সুভাষচন্দ্র বসু আজাদ হিন্দ ফৌজ গঠন করে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া থেকে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে প্রত্যক্ষ যুদ্ধে অবতীর্ণ হন। ১৯২০ সাল থেকে এই রাজ্যে বামপন্থী আন্দোলন তীব্র আকার ধারণ করে। সেই ধারা আজও অব্যাহত আছে। ১৯৪৭ সালে কংগ্রেস ও মুসলিম লীগের চক্রান্তে ভারত স্বাধীনতা অর্জন ধর্মের ভিত্তিতে বাংলা দ্বিধাবিভক্ত হয়। হিন্দুপ্রধান পশ্চিমবঙ্গ ভারতের অন্তর্ভুক্ত হয় এবং মুসলমানপ্রধান পূর্ববঙ্গ নবগঠিত রাষ্ট্র পাকিস্তানে যোগ দেয় (এই অঞ্চলটি পরে পূর্ব পাকিস্তান নামে পরিচিত হয় এবং ১৯৭১ সালে স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে)। দেশভাগের পর পূর্ববঙ্গ থেকে লক্ষ লক্ষ হিন্দু পশ্চিমবঙ্গে চলে আসেন। এই ব্যাপক অভিবাসনের ফলে পশ্চিমবঙ্গে খাদ্য ও বাসস্থানের সমস্যা দেখা দেয়। ১৯৫০ সালে দেশীয় রাজ্য কোচবিহারের রাজা জগদ্দীপেন্দ্র নারায়ণ ভারত সরকারের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হলে কোচবিহার পশ্চিমবঙ্গের একটি জেলায় পরিণত হয়। ১৯৫৫ সালে ফরাসি উপনিবেশ চন্দননগর পশ্চিমবঙ্গের অন্তর্ভুক্ত হয়। বিহারের কিছু বাংলা-ভাষী অঞ্চলও এই সময় পশ্চিমবঙ্গের অন্তর্ভুক্ত হয়। ১৯৭০ ও ১৯৮০-এর দশকে ব্যাপক বিদ্যুৎ বিপর্যয়, ধর্মঘট ও সহিংস মার্ক্সবাদী-নকশালবাদী আন্দোলনের ফলে রাজ্যের শিল্প পরিকাঠামো ভেঙে পড়ে। এর ফলে এক অর্থনৈতিক স্থবিরতার যুগের সূত্রপাত হয়। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের সময় প্রায় এক কোটি শরণার্থী পশ্চিমবঙ্গে আশ্রয় নেয়। সেই সময় নকশালবাদের সাথে কংগ্রেসের চক্রান্তের ফলে রাজ্যের পরিকাঠামোয় গভীর চাপ সৃষ্টি হয়। ১৯৭৪ সালের বসন্ত মহামারীতে রাজ্যে সহস্রাধিক মানুষের মৃত্যু হয়। ১৯৭৭ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসকে পরাজিত করে বামফ্রন্ট ক্ষমতায় এলে রাজ্যে গুরুত্বপূর্ণ এক রাজনৈতিক পরিবর্তন সূচিত হয়। এরপর তিন দশকেরও বেশি সময় ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী) (সিপিআই(এম)) নেতৃত্বাধীন বামফ্রন্ট সরকার রাজ্যে শাসনভার পরিচালনা করে। ১৯৯০-এর দশকের মধ্যভাগে ভারত সরকারের অর্থনৈতিক সংস্কার এবং ২০০০ সালে সংস্কারপন্থী নতুন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের নির্বাচনের পর রাজ্যের অর্থনৈতিক উন্নতি ত্বরান্বিত হয়। বর্তমানে রাজ্যের বিভিন্ন অংশে ছোটোবড়ো বেশ কয়েকটি সশস্ত্র জঙ্গিহানার ঘটনা ঘটেছে। আবার শিল্পায়নের জন্য জমি অধিগ্রহণকে কেন্দ্র করে প্রশাসনের সঙ্গে স্থানীয় অধিবাসীদের একাধিক সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে। ২০০৬ সালে হুগলির সিঙ্গুরে টাটা ন্যানো কারখানার জন্য জমি অধিগ্রহণকে কেন্দ্র করে স্থানীয় কৃষকদের মধ্যে তীব্র গণ-অসন্তোষ দেখা যায়।
1857 সালের মহাবিদ্রোহ কোথায় শুরু হয়েছিল?
{ "text": [ "কলকাতার অদূরে" ], "answer_start": [ 214 ] }
1521
null
১৭৯২ সালে রাজা গৌরীনাথ সিংহ, দারাংয়ের কোচ রাজা এবং মোয়ামারিয়া নামক ধর্মসম্প্রদায়ের নেতৃগণ কর্তৃক সিংহাসনচ্যূত হন। ভারতের ইংরেজ সরকার দেশীয় রাজ্য সম্বন্ধে হস্তক্ষেপ করা হবে না, এ নীতি অবলম্বন করে উদাসীন থাকাতে, আহম রাজা ব্রহ্মরাজকে মধ্যস্থতা করতে আহ্বান করেন। এরফলে ব্রহ্মবাসীরা রাজ্য অধিকার করে এবং কঠোরভাবে শাসনদণ্ডের পরিচালনা করতে থাকে। ১৮২৪ সালে ব্রহ্মরাজের সাথে ইংরেজদের প্রথম যুদ্ধ সংঘটিত হয়। ১৮২৬ সালের ২৪শে ফেব্রুয়ারি ব্রহ্মরাজের সাথে ইংরেজের যে সন্ধিস্থাপনা হয়, এরফলে ইংরেজ এই প্রদেশটি প্রাপ্ত হয়। নিম্ন আসাম তখনই সাক্ষাৎভাবে ইংরেজের শাসনাধীন হয়। ১৮৩২ সালে বার সেনাপতি বা মাটক রাজা ছাড়া উত্তর আসাম রাজ্য আহম সিংহাসনাধিকার-প্রার্থী পুরন্দর সিংহকে দেয়া হয়। কিন্তু তার সময়ে উক্ত প্রদেশে শাসন সম্বন্ধে নানা বিশৃঙ্খলা উপস্থিত হওয়ায় এটিও ইংরেজদের অধিকারে চলে আসে। বঙ্গ, বিহার ও উড়িষ্যার দেওয়ানী লাভের সঙ্গেই শ্রীহট্ট ও গোয়ালপাড়া ১৭৬৫ সালে ইংরেজদের অধিকারভূক্ত হয়। অপুত্রক রাজা গোবিন্দচন্দ্রের মৃত্যুর পর ১৮৩০ সালে কাছাড় ইংরেজের হস্তগত হয়।
মেঘালয় কবে গারো, খাসি এবং জয়ন্তিকা নিয়ে গঠিত হয়েছিল?
{ "text": [ "" ], "answer_start": [ null ] }
1522
null
১৭৯২ সালে রাজা গৌরীনাথ সিংহ, দারাংয়ের কোচ রাজা এবং মোয়ামারিয়া নামক ধর্মসম্প্রদায়ের নেতৃগণ কর্তৃক সিংহাসনচ্যূত হন। ভারতের ইংরেজ সরকার দেশীয় রাজ্য সম্বন্ধে হস্তক্ষেপ করা হবে না, এ নীতি অবলম্বন করে উদাসীন থাকাতে, আহম রাজা ব্রহ্মরাজকে মধ্যস্থতা করতে আহ্বান করেন। এরফলে ব্রহ্মবাসীরা রাজ্য অধিকার করে এবং কঠোরভাবে শাসনদণ্ডের পরিচালনা করতে থাকে। ১৮২৪ সালে ব্রহ্মরাজের সাথে ইংরেজদের প্রথম যুদ্ধ সংঘটিত হয়। ১৮২৬ সালের ২৪শে ফেব্রুয়ারি ব্রহ্মরাজের সাথে ইংরেজের যে সন্ধিস্থাপনা হয়, এরফলে ইংরেজ এই প্রদেশটি প্রাপ্ত হয়। নিম্ন আসাম তখনই সাক্ষাৎভাবে ইংরেজের শাসনাধীন হয়। ১৮৩২ সালে বার সেনাপতি বা মাটক রাজা ছাড়া উত্তর আসাম রাজ্য আহম সিংহাসনাধিকার-প্রার্থী পুরন্দর সিংহকে দেয়া হয়। কিন্তু তার সময়ে উক্ত প্রদেশে শাসন সম্বন্ধে নানা বিশৃঙ্খলা উপস্থিত হওয়ায় এটিও ইংরেজদের অধিকারে চলে আসে। বঙ্গ, বিহার ও উড়িষ্যার দেওয়ানী লাভের সঙ্গেই শ্রীহট্ট ও গোয়ালপাড়া ১৭৬৫ সালে ইংরেজদের অধিকারভূক্ত হয়। অপুত্রক রাজা গোবিন্দচন্দ্রের মৃত্যুর পর ১৮৩০ সালে কাছাড় ইংরেজের হস্তগত হয়।
কত সালে উত্তর আসাম রাজ্য, বড় সেনাপতি বা মটক রাজা বাদ দিয়ে, অহোম সিংহাসনের প্রতিদ্বন্দ্বী পুরন্দর সিংকে দেওয়া হয়েছিল?
{ "text": [ "১৮৩২" ], "answer_start": [ 559 ] }
1523
null
১৭৯২ সালে রাজা গৌরীনাথ সিংহ, দারাংয়ের কোচ রাজা এবং মোয়ামারিয়া নামক ধর্মসম্প্রদায়ের নেতৃগণ কর্তৃক সিংহাসনচ্যূত হন। ভারতের ইংরেজ সরকার দেশীয় রাজ্য সম্বন্ধে হস্তক্ষেপ করা হবে না, এ নীতি অবলম্বন করে উদাসীন থাকাতে, আহম রাজা ব্রহ্মরাজকে মধ্যস্থতা করতে আহ্বান করেন। এরফলে ব্রহ্মবাসীরা রাজ্য অধিকার করে এবং কঠোরভাবে শাসনদণ্ডের পরিচালনা করতে থাকে। ১৮২৪ সালে ব্রহ্মরাজের সাথে ইংরেজদের প্রথম যুদ্ধ সংঘটিত হয়। ১৮২৬ সালের ২৪শে ফেব্রুয়ারি ব্রহ্মরাজের সাথে ইংরেজের যে সন্ধিস্থাপনা হয়, এরফলে ইংরেজ এই প্রদেশটি প্রাপ্ত হয়। নিম্ন আসাম তখনই সাক্ষাৎভাবে ইংরেজের শাসনাধীন হয়। ১৮৩২ সালে বার সেনাপতি বা মাটক রাজা ছাড়া উত্তর আসাম রাজ্য আহম সিংহাসনাধিকার-প্রার্থী পুরন্দর সিংহকে দেয়া হয়। কিন্তু তার সময়ে উক্ত প্রদেশে শাসন সম্বন্ধে নানা বিশৃঙ্খলা উপস্থিত হওয়ায় এটিও ইংরেজদের অধিকারে চলে আসে। বঙ্গ, বিহার ও উড়িষ্যার দেওয়ানী লাভের সঙ্গেই শ্রীহট্ট ও গোয়ালপাড়া ১৭৬৫ সালে ইংরেজদের অধিকারভূক্ত হয়। অপুত্রক রাজা গোবিন্দচন্দ্রের মৃত্যুর পর ১৮৩০ সালে কাছাড় ইংরেজের হস্তগত হয়।
মেঘালয় কবে পূর্ণাঙ্গ রাজ্যে পরিণত হয়?
{ "text": [ "" ], "answer_start": [ null ] }
1524
null
১৭৯২ সালে রাজা গৌরীনাথ সিংহ, দারাংয়ের কোচ রাজা এবং মোয়ামারিয়া নামক ধর্মসম্প্রদায়ের নেতৃগণ কর্তৃক সিংহাসনচ্যূত হন। ভারতের ইংরেজ সরকার দেশীয় রাজ্য সম্বন্ধে হস্তক্ষেপ করা হবে না, এ নীতি অবলম্বন করে উদাসীন থাকাতে, আহম রাজা ব্রহ্মরাজকে মধ্যস্থতা করতে আহ্বান করেন। এরফলে ব্রহ্মবাসীরা রাজ্য অধিকার করে এবং কঠোরভাবে শাসনদণ্ডের পরিচালনা করতে থাকে। ১৮২৪ সালে ব্রহ্মরাজের সাথে ইংরেজদের প্রথম যুদ্ধ সংঘটিত হয়। ১৮২৬ সালের ২৪শে ফেব্রুয়ারি ব্রহ্মরাজের সাথে ইংরেজের যে সন্ধিস্থাপনা হয়, এরফলে ইংরেজ এই প্রদেশটি প্রাপ্ত হয়। নিম্ন আসাম তখনই সাক্ষাৎভাবে ইংরেজের শাসনাধীন হয়। ১৮৩২ সালে বার সেনাপতি বা মাটক রাজা ছাড়া উত্তর আসাম রাজ্য আহম সিংহাসনাধিকার-প্রার্থী পুরন্দর সিংহকে দেয়া হয়। কিন্তু তার সময়ে উক্ত প্রদেশে শাসন সম্বন্ধে নানা বিশৃঙ্খলা উপস্থিত হওয়ায় এটিও ইংরেজদের অধিকারে চলে আসে। বঙ্গ, বিহার ও উড়িষ্যার দেওয়ানী লাভের সঙ্গেই শ্রীহট্ট ও গোয়ালপাড়া ১৭৬৫ সালে ইংরেজদের অধিকারভূক্ত হয়। অপুত্রক রাজা গোবিন্দচন্দ্রের মৃত্যুর পর ১৮৩০ সালে কাছাড় ইংরেজের হস্তগত হয়।
কত সালে ব্রিটিশ ও ব্রহ্মরাজের মধ্যে প্রথম যুদ্ধ সংঘটিত হয়?
{ "text": [ "১৮২৪" ], "answer_start": [ 341 ] }
1525
null
১৭৯২ সালে রাজা গৌরীনাথ সিংহ, দারাংয়ের কোচ রাজা এবং মোয়ামারিয়া নামক ধর্মসম্প্রদায়ের নেতৃগণ কর্তৃক সিংহাসনচ্যূত হন। ভারতের ইংরেজ সরকার দেশীয় রাজ্য সম্বন্ধে হস্তক্ষেপ করা হবে না, এ নীতি অবলম্বন করে উদাসীন থাকাতে, আহম রাজা ব্রহ্মরাজকে মধ্যস্থতা করতে আহ্বান করেন। এরফলে ব্রহ্মবাসীরা রাজ্য অধিকার করে এবং কঠোরভাবে শাসনদণ্ডের পরিচালনা করতে থাকে। ১৮২৪ সালে ব্রহ্মরাজের সাথে ইংরেজদের প্রথম যুদ্ধ সংঘটিত হয়। ১৮২৬ সালের ২৪শে ফেব্রুয়ারি ব্রহ্মরাজের সাথে ইংরেজের যে সন্ধিস্থাপনা হয়, এরফলে ইংরেজ এই প্রদেশটি প্রাপ্ত হয়। নিম্ন আসাম তখনই সাক্ষাৎভাবে ইংরেজের শাসনাধীন হয়। ১৮৩২ সালে বার সেনাপতি বা মাটক রাজা ছাড়া উত্তর আসাম রাজ্য আহম সিংহাসনাধিকার-প্রার্থী পুরন্দর সিংহকে দেয়া হয়। কিন্তু তার সময়ে উক্ত প্রদেশে শাসন সম্বন্ধে নানা বিশৃঙ্খলা উপস্থিত হওয়ায় এটিও ইংরেজদের অধিকারে চলে আসে। বঙ্গ, বিহার ও উড়িষ্যার দেওয়ানী লাভের সঙ্গেই শ্রীহট্ট ও গোয়ালপাড়া ১৭৬৫ সালে ইংরেজদের অধিকারভূক্ত হয়। অপুত্রক রাজা গোবিন্দচন্দ্রের মৃত্যুর পর ১৮৩০ সালে কাছাড় ইংরেজের হস্তগত হয়।
1826 সালের 24 ফেব্রুয়ারি ব্রিটিশ ও ব্রহ্মরাজের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার ফলে কি হয়?
{ "text": [ "ইংরেজ এই প্রদেশটি প্রাপ্ত হয়" ], "answer_start": [ 480 ] }
1526
null
১৭৯২ সালে রাজা গৌরীনাথ সিংহ, দারাংয়ের কোচ রাজা এবং মোয়ামারিয়া নামক ধর্মসম্প্রদায়ের নেতৃগণ কর্তৃক সিংহাসনচ্যূত হন। ভারতের ইংরেজ সরকার দেশীয় রাজ্য সম্বন্ধে হস্তক্ষেপ করা হবে না, এ নীতি অবলম্বন করে উদাসীন থাকাতে, আহম রাজা ব্রহ্মরাজকে মধ্যস্থতা করতে আহ্বান করেন। এরফলে ব্রহ্মবাসীরা রাজ্য অধিকার করে এবং কঠোরভাবে শাসনদণ্ডের পরিচালনা করতে থাকে। ১৮২৪ সালে ব্রহ্মরাজের সাথে ইংরেজদের প্রথম যুদ্ধ সংঘটিত হয়। ১৮২৬ সালের ২৪শে ফেব্রুয়ারি ব্রহ্মরাজের সাথে ইংরেজের যে সন্ধিস্থাপনা হয়, এরফলে ইংরেজ এই প্রদেশটি প্রাপ্ত হয়। নিম্ন আসাম তখনই সাক্ষাৎভাবে ইংরেজের শাসনাধীন হয়। ১৮৩২ সালে বার সেনাপতি বা মাটক রাজা ছাড়া উত্তর আসাম রাজ্য আহম সিংহাসনাধিকার-প্রার্থী পুরন্দর সিংহকে দেয়া হয়। কিন্তু তার সময়ে উক্ত প্রদেশে শাসন সম্বন্ধে নানা বিশৃঙ্খলা উপস্থিত হওয়ায় এটিও ইংরেজদের অধিকারে চলে আসে। বঙ্গ, বিহার ও উড়িষ্যার দেওয়ানী লাভের সঙ্গেই শ্রীহট্ট ও গোয়ালপাড়া ১৭৬৫ সালে ইংরেজদের অধিকারভূক্ত হয়। অপুত্রক রাজা গোবিন্দচন্দ্রের মৃত্যুর পর ১৮৩০ সালে কাছাড় ইংরেজের হস্তগত হয়।
কবে ব্রিটিশ ও ব্রহ্মরাজের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার ফলে ইংরেজ প্রদেশ অধিগ্রহণ হয়?
{ "text": [ "১৮২৬ সালের ২৪শে ফেব্রুয়ারি" ], "answer_start": [ 400 ] }
1527
null
১৭৯২ সালে রাজা গৌরীনাথ সিংহ, দারাংয়ের কোচ রাজা এবং মোয়ামারিয়া নামক ধর্মসম্প্রদায়ের নেতৃগণ কর্তৃক সিংহাসনচ্যূত হন। ভারতের ইংরেজ সরকার দেশীয় রাজ্য সম্বন্ধে হস্তক্ষেপ করা হবে না, এ নীতি অবলম্বন করে উদাসীন থাকাতে, আহম রাজা ব্রহ্মরাজকে মধ্যস্থতা করতে আহ্বান করেন। এরফলে ব্রহ্মবাসীরা রাজ্য অধিকার করে এবং কঠোরভাবে শাসনদণ্ডের পরিচালনা করতে থাকে। ১৮২৪ সালে ব্রহ্মরাজের সাথে ইংরেজদের প্রথম যুদ্ধ সংঘটিত হয়। ১৮২৬ সালের ২৪শে ফেব্রুয়ারি ব্রহ্মরাজের সাথে ইংরেজের যে সন্ধিস্থাপনা হয়, এরফলে ইংরেজ এই প্রদেশটি প্রাপ্ত হয়। নিম্ন আসাম তখনই সাক্ষাৎভাবে ইংরেজের শাসনাধীন হয়। ১৮৩২ সালে বার সেনাপতি বা মাটক রাজা ছাড়া উত্তর আসাম রাজ্য আহম সিংহাসনাধিকার-প্রার্থী পুরন্দর সিংহকে দেয়া হয়। কিন্তু তার সময়ে উক্ত প্রদেশে শাসন সম্বন্ধে নানা বিশৃঙ্খলা উপস্থিত হওয়ায় এটিও ইংরেজদের অধিকারে চলে আসে। বঙ্গ, বিহার ও উড়িষ্যার দেওয়ানী লাভের সঙ্গেই শ্রীহট্ট ও গোয়ালপাড়া ১৭৬৫ সালে ইংরেজদের অধিকারভূক্ত হয়। অপুত্রক রাজা গোবিন্দচন্দ্রের মৃত্যুর পর ১৮৩০ সালে কাছাড় ইংরেজের হস্তগত হয়।
কোন সালে কাছাড় ইংরেজদের নিয়ন্ত্রণে আসে?
{ "text": [ "" ], "answer_start": [ null ] }
1528
null
১৮০৩ খ্রিষ্টাব্দে দ্বিতীয় ইঙ্গ-মারাঠা যুদ্ধে মারাঠারা ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কাছে পরাজিত হলে উত্তরপ্রদেশের অধিকাংশ অঞ্চল ব্রিটিশদের অধিকারে চলে আসে। ১৮শ শতাব্দীর মধ্যভাগে বাংলায় ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনের সূত্রপাত হয়। এরপর উত্তর ভারতে বেশ কয়েকটি যুদ্ধের পর উত্তরপ্রদেশ ভূখণ্ড ব্রিটিশদের অধীনে আসে। আজমির ও জয়পুর এই উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশের অন্তর্ভুক্ত হয় এবং এর নামকরণ করা হয় (আগ্রার) ‘উত্তরপশ্চিম প্রদেশ’। পরবর্তীকালে উত্তরপ্রদেশ ভূখণ্ডে ব্রিটিশ ভারতের পঞ্চম বৃহত্তম প্রদেশটি গঠিত হলেও সেই সময় ব্রিটিশ ভারতীয় সাম্রাজ্যে আগ্রার উত্তরপশ্চিম প্রদেশ ছিল ক্ষুদ্রতম প্রদেশ। এই প্রদেশের রাজধানী দুবার আগ্রা ও এলাহাবাদের মধ্যে পরিবর্তিত হয়। উত্তর ভারতে ব্রিটিশ শাসনে অসন্তুষ্ট হয়ে একাধিক বিদ্রোহ দানা বাঁধে। মিরাট ক্যান্টনমেন্টে নিযুক্ত বেঙ্গল রেজিমেন্টের সেপাই মঙ্গল পাণ্ডেকে এই বিদ্রোহের সূচনা ঘটানোর কৃতিত্ব দেওয়া হয়। পরবর্তীকালে এই বিদ্রোহ সিপাহি বিদ্রোহ নামে পরিচিত হয়। এই বিদ্রোহ ব্যর্থ হওয়ার পর ব্রিটিশরা সর্বাধিক বিদ্রোহী-অধ্যুষিত অঞ্চলগুলিকে বিভাজিত করে একটি প্রশাসনিক সীমানা পুনর্গঠনের কাজ শুরু করে। এই সময় আগ্রার উত্তরপশ্চিম প্রদেশ থেকে দিল্লিকে বিচ্ছিন্ন করে পাঞ্জাবের সঙ্গে এবং আজমির-মারওয়ারকে রাজপুতানার সঙ্গে যুক্ত করা হয়। অন্যদিকে অবধকে এই প্রদেশের সঙ্গে যুক্ত করা হয়। নতুন রাজ্যের নামকরণ হয় ‘আগ্রা ও অবধের উত্তরপশ্চিম প্রদেশ’। ১৯০২ সালে এই রাজ্যের নাম বদলে রাখা হয় ‘আগ্রা ও অবধের যুক্তপ্রদেশ’। সাধারণত এটিকে ‘যুক্তপ্রদেশ’ নামেই ডাকা হত। ১৯২০ সালে এই প্রদেশের রাজধানী এলাহাবাদ থেকে লখনউতে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। হাইকোর্টটি এলাহাবাদেই থেকে যায়, তবে লখনউতে তার একটি শাখা স্থাপিত হয়। এলাহাবাদ এখনও উত্তরপ্রদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক কেন্দ্র। কারণ, অনেক প্রশাসনিক সদর এই শহরে অবস্থিত। ভারতীয় রাজনীতিতে উত্তরপ্রদেশ কেন্দ্রীয় ভূমিকা গ্রহণ করতে শুরু করে এই সময় থেকেই। এই রাজ্য ছিল ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম কেন্দ্র। কাশী হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়, আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় ও দারুল উলুম দেওবন্দের মতো কিছু আধুনিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এই রাজ্যে অবস্থিত। উত্তরপ্রদেশের যে সব বাসিন্দারা স্বাধীনতা আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন চন্দ্রশেখর আজাদ, ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের নেতা মতিলাল নেহেরু, জওহরলাল নেহেরু, মদনমোহন মালব্য ও গোবিন্দবল্লভ পন্ত প্রমুখ। ১৯৩৬ সালের ১১ এপ্রিল ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের লখনউ অধিবেশনে সারা ভারত কৃষক সভা প্রতিষ্ঠিত হয়। বিশিষ্ট জাতীয়তাবাদী স্বামী সহজানন্দ সরস্বতী ছিলেন এই সভার প্রথম প্রেসিডেন্ট। কৃষকসভার উদ্দেশ্য ছিল কৃষকদের দীর্ঘকালীন দুরবস্থার জন্য জমিদারি প্রথার বিরুদ্ধে তাদের সংগঠিত করে তোলা। কৃষকসভার আন্দোলনের ফলে ভারতে চাষিরা জমিদারদে অন্যায় অত্যাচারের বিরুদ্ধে সরব হতে শুরু করে। ১৯৪২ সালে ভারত ছাড়ো আন্দোলনের সময় বালিয়া জেলা ঔপনিবেশিক শাসন উৎখাত করে একটি স্বাধীন প্রশাসন গঠন করতে সক্ষম হয়েছিল। এই প্রশাসন গঠনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন চিত্তু পাণ্ডে। ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে অবদানের জন্য বালিয়াকে বলা হয় ‘বাঘী বালিয়া’ (বিদ্রোহী বালিয়া)। ভারতের স্বাধীনতা অর্জনের পর ১৯৫০ সালে যুক্তপ্রদেশের নাম পালটে ‘উত্তরপ্রদেশ’ রাখা হয়। এই রাজ্য থেকে সাত জন ব্যক্তি ভারতের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। ভারতীয় সংসদের লোকসভায় এই রাজ্যের প্রতিনিধিসংখ্যা সর্বাধিক। কিন্তু রাজনৈতিক প্রভাব সত্ত্বেও, অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও প্রশাসন পরিচালনার কাজে এই রাজ্যের গতি শ্লথ। সংগঠিত অপরাধের আধিক্য ও ক্রমবর্ধমান দুর্নীতি এই রাজ্যকে ভারতের পিছিয়ে পড়া রাজ্যগুলির মধ্যে অন্যতম করে তুলেছে। জাতিগত ও সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনাও এই রাজ্যে বেশি ঘটে।
তৎকালীন কোন দুটি অঞ্চলকে উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশের সাথে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল ?
{ "text": [ "আজমির ও জয়পুর" ], "answer_start": [ 320 ] }
1529
null
১৮০৩ খ্রিষ্টাব্দে দ্বিতীয় ইঙ্গ-মারাঠা যুদ্ধে মারাঠারা ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কাছে পরাজিত হলে উত্তরপ্রদেশের অধিকাংশ অঞ্চল ব্রিটিশদের অধিকারে চলে আসে। ১৮শ শতাব্দীর মধ্যভাগে বাংলায় ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনের সূত্রপাত হয়। এরপর উত্তর ভারতে বেশ কয়েকটি যুদ্ধের পর উত্তরপ্রদেশ ভূখণ্ড ব্রিটিশদের অধীনে আসে। আজমির ও জয়পুর এই উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশের অন্তর্ভুক্ত হয় এবং এর নামকরণ করা হয় (আগ্রার) ‘উত্তরপশ্চিম প্রদেশ’। পরবর্তীকালে উত্তরপ্রদেশ ভূখণ্ডে ব্রিটিশ ভারতের পঞ্চম বৃহত্তম প্রদেশটি গঠিত হলেও সেই সময় ব্রিটিশ ভারতীয় সাম্রাজ্যে আগ্রার উত্তরপশ্চিম প্রদেশ ছিল ক্ষুদ্রতম প্রদেশ। এই প্রদেশের রাজধানী দুবার আগ্রা ও এলাহাবাদের মধ্যে পরিবর্তিত হয়। উত্তর ভারতে ব্রিটিশ শাসনে অসন্তুষ্ট হয়ে একাধিক বিদ্রোহ দানা বাঁধে। মিরাট ক্যান্টনমেন্টে নিযুক্ত বেঙ্গল রেজিমেন্টের সেপাই মঙ্গল পাণ্ডেকে এই বিদ্রোহের সূচনা ঘটানোর কৃতিত্ব দেওয়া হয়। পরবর্তীকালে এই বিদ্রোহ সিপাহি বিদ্রোহ নামে পরিচিত হয়। এই বিদ্রোহ ব্যর্থ হওয়ার পর ব্রিটিশরা সর্বাধিক বিদ্রোহী-অধ্যুষিত অঞ্চলগুলিকে বিভাজিত করে একটি প্রশাসনিক সীমানা পুনর্গঠনের কাজ শুরু করে। এই সময় আগ্রার উত্তরপশ্চিম প্রদেশ থেকে দিল্লিকে বিচ্ছিন্ন করে পাঞ্জাবের সঙ্গে এবং আজমির-মারওয়ারকে রাজপুতানার সঙ্গে যুক্ত করা হয়। অন্যদিকে অবধকে এই প্রদেশের সঙ্গে যুক্ত করা হয়। নতুন রাজ্যের নামকরণ হয় ‘আগ্রা ও অবধের উত্তরপশ্চিম প্রদেশ’। ১৯০২ সালে এই রাজ্যের নাম বদলে রাখা হয় ‘আগ্রা ও অবধের যুক্তপ্রদেশ’। সাধারণত এটিকে ‘যুক্তপ্রদেশ’ নামেই ডাকা হত। ১৯২০ সালে এই প্রদেশের রাজধানী এলাহাবাদ থেকে লখনউতে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। হাইকোর্টটি এলাহাবাদেই থেকে যায়, তবে লখনউতে তার একটি শাখা স্থাপিত হয়। এলাহাবাদ এখনও উত্তরপ্রদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক কেন্দ্র। কারণ, অনেক প্রশাসনিক সদর এই শহরে অবস্থিত। ভারতীয় রাজনীতিতে উত্তরপ্রদেশ কেন্দ্রীয় ভূমিকা গ্রহণ করতে শুরু করে এই সময় থেকেই। এই রাজ্য ছিল ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম কেন্দ্র। কাশী হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়, আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় ও দারুল উলুম দেওবন্দের মতো কিছু আধুনিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এই রাজ্যে অবস্থিত। উত্তরপ্রদেশের যে সব বাসিন্দারা স্বাধীনতা আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন চন্দ্রশেখর আজাদ, ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের নেতা মতিলাল নেহেরু, জওহরলাল নেহেরু, মদনমোহন মালব্য ও গোবিন্দবল্লভ পন্ত প্রমুখ। ১৯৩৬ সালের ১১ এপ্রিল ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের লখনউ অধিবেশনে সারা ভারত কৃষক সভা প্রতিষ্ঠিত হয়। বিশিষ্ট জাতীয়তাবাদী স্বামী সহজানন্দ সরস্বতী ছিলেন এই সভার প্রথম প্রেসিডেন্ট। কৃষকসভার উদ্দেশ্য ছিল কৃষকদের দীর্ঘকালীন দুরবস্থার জন্য জমিদারি প্রথার বিরুদ্ধে তাদের সংগঠিত করে তোলা। কৃষকসভার আন্দোলনের ফলে ভারতে চাষিরা জমিদারদে অন্যায় অত্যাচারের বিরুদ্ধে সরব হতে শুরু করে। ১৯৪২ সালে ভারত ছাড়ো আন্দোলনের সময় বালিয়া জেলা ঔপনিবেশিক শাসন উৎখাত করে একটি স্বাধীন প্রশাসন গঠন করতে সক্ষম হয়েছিল। এই প্রশাসন গঠনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন চিত্তু পাণ্ডে। ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে অবদানের জন্য বালিয়াকে বলা হয় ‘বাঘী বালিয়া’ (বিদ্রোহী বালিয়া)। ভারতের স্বাধীনতা অর্জনের পর ১৯৫০ সালে যুক্তপ্রদেশের নাম পালটে ‘উত্তরপ্রদেশ’ রাখা হয়। এই রাজ্য থেকে সাত জন ব্যক্তি ভারতের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। ভারতীয় সংসদের লোকসভায় এই রাজ্যের প্রতিনিধিসংখ্যা সর্বাধিক। কিন্তু রাজনৈতিক প্রভাব সত্ত্বেও, অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও প্রশাসন পরিচালনার কাজে এই রাজ্যের গতি শ্লথ। সংগঠিত অপরাধের আধিক্য ও ক্রমবর্ধমান দুর্নীতি এই রাজ্যকে ভারতের পিছিয়ে পড়া রাজ্যগুলির মধ্যে অন্যতম করে তুলেছে। জাতিগত ও সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনাও এই রাজ্যে বেশি ঘটে।
মারাঠারা দ্বিতীয় অ্যাংলো মারাঠা যুদ্ধে কার কাছে পরাজিত হয় ?
{ "text": [ "ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির" ], "answer_start": [ 55 ] }
1530
null
১৮০৩ খ্রিষ্টাব্দে দ্বিতীয় ইঙ্গ-মারাঠা যুদ্ধে মারাঠারা ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কাছে পরাজিত হলে উত্তরপ্রদেশের অধিকাংশ অঞ্চল ব্রিটিশদের অধিকারে চলে আসে। ১৮শ শতাব্দীর মধ্যভাগে বাংলায় ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনের সূত্রপাত হয়। এরপর উত্তর ভারতে বেশ কয়েকটি যুদ্ধের পর উত্তরপ্রদেশ ভূখণ্ড ব্রিটিশদের অধীনে আসে। আজমির ও জয়পুর এই উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশের অন্তর্ভুক্ত হয় এবং এর নামকরণ করা হয় (আগ্রার) ‘উত্তরপশ্চিম প্রদেশ’। পরবর্তীকালে উত্তরপ্রদেশ ভূখণ্ডে ব্রিটিশ ভারতের পঞ্চম বৃহত্তম প্রদেশটি গঠিত হলেও সেই সময় ব্রিটিশ ভারতীয় সাম্রাজ্যে আগ্রার উত্তরপশ্চিম প্রদেশ ছিল ক্ষুদ্রতম প্রদেশ। এই প্রদেশের রাজধানী দুবার আগ্রা ও এলাহাবাদের মধ্যে পরিবর্তিত হয়। উত্তর ভারতে ব্রিটিশ শাসনে অসন্তুষ্ট হয়ে একাধিক বিদ্রোহ দানা বাঁধে। মিরাট ক্যান্টনমেন্টে নিযুক্ত বেঙ্গল রেজিমেন্টের সেপাই মঙ্গল পাণ্ডেকে এই বিদ্রোহের সূচনা ঘটানোর কৃতিত্ব দেওয়া হয়। পরবর্তীকালে এই বিদ্রোহ সিপাহি বিদ্রোহ নামে পরিচিত হয়। এই বিদ্রোহ ব্যর্থ হওয়ার পর ব্রিটিশরা সর্বাধিক বিদ্রোহী-অধ্যুষিত অঞ্চলগুলিকে বিভাজিত করে একটি প্রশাসনিক সীমানা পুনর্গঠনের কাজ শুরু করে। এই সময় আগ্রার উত্তরপশ্চিম প্রদেশ থেকে দিল্লিকে বিচ্ছিন্ন করে পাঞ্জাবের সঙ্গে এবং আজমির-মারওয়ারকে রাজপুতানার সঙ্গে যুক্ত করা হয়। অন্যদিকে অবধকে এই প্রদেশের সঙ্গে যুক্ত করা হয়। নতুন রাজ্যের নামকরণ হয় ‘আগ্রা ও অবধের উত্তরপশ্চিম প্রদেশ’। ১৯০২ সালে এই রাজ্যের নাম বদলে রাখা হয় ‘আগ্রা ও অবধের যুক্তপ্রদেশ’। সাধারণত এটিকে ‘যুক্তপ্রদেশ’ নামেই ডাকা হত। ১৯২০ সালে এই প্রদেশের রাজধানী এলাহাবাদ থেকে লখনউতে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। হাইকোর্টটি এলাহাবাদেই থেকে যায়, তবে লখনউতে তার একটি শাখা স্থাপিত হয়। এলাহাবাদ এখনও উত্তরপ্রদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক কেন্দ্র। কারণ, অনেক প্রশাসনিক সদর এই শহরে অবস্থিত। ভারতীয় রাজনীতিতে উত্তরপ্রদেশ কেন্দ্রীয় ভূমিকা গ্রহণ করতে শুরু করে এই সময় থেকেই। এই রাজ্য ছিল ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম কেন্দ্র। কাশী হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়, আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় ও দারুল উলুম দেওবন্দের মতো কিছু আধুনিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এই রাজ্যে অবস্থিত। উত্তরপ্রদেশের যে সব বাসিন্দারা স্বাধীনতা আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন চন্দ্রশেখর আজাদ, ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের নেতা মতিলাল নেহেরু, জওহরলাল নেহেরু, মদনমোহন মালব্য ও গোবিন্দবল্লভ পন্ত প্রমুখ। ১৯৩৬ সালের ১১ এপ্রিল ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের লখনউ অধিবেশনে সারা ভারত কৃষক সভা প্রতিষ্ঠিত হয়। বিশিষ্ট জাতীয়তাবাদী স্বামী সহজানন্দ সরস্বতী ছিলেন এই সভার প্রথম প্রেসিডেন্ট। কৃষকসভার উদ্দেশ্য ছিল কৃষকদের দীর্ঘকালীন দুরবস্থার জন্য জমিদারি প্রথার বিরুদ্ধে তাদের সংগঠিত করে তোলা। কৃষকসভার আন্দোলনের ফলে ভারতে চাষিরা জমিদারদে অন্যায় অত্যাচারের বিরুদ্ধে সরব হতে শুরু করে। ১৯৪২ সালে ভারত ছাড়ো আন্দোলনের সময় বালিয়া জেলা ঔপনিবেশিক শাসন উৎখাত করে একটি স্বাধীন প্রশাসন গঠন করতে সক্ষম হয়েছিল। এই প্রশাসন গঠনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন চিত্তু পাণ্ডে। ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে অবদানের জন্য বালিয়াকে বলা হয় ‘বাঘী বালিয়া’ (বিদ্রোহী বালিয়া)। ভারতের স্বাধীনতা অর্জনের পর ১৯৫০ সালে যুক্তপ্রদেশের নাম পালটে ‘উত্তরপ্রদেশ’ রাখা হয়। এই রাজ্য থেকে সাত জন ব্যক্তি ভারতের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। ভারতীয় সংসদের লোকসভায় এই রাজ্যের প্রতিনিধিসংখ্যা সর্বাধিক। কিন্তু রাজনৈতিক প্রভাব সত্ত্বেও, অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও প্রশাসন পরিচালনার কাজে এই রাজ্যের গতি শ্লথ। সংগঠিত অপরাধের আধিক্য ও ক্রমবর্ধমান দুর্নীতি এই রাজ্যকে ভারতের পিছিয়ে পড়া রাজ্যগুলির মধ্যে অন্যতম করে তুলেছে। জাতিগত ও সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনাও এই রাজ্যে বেশি ঘটে।
সর্বভারতীয় কিষান সভা কত সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ?
{ "text": [ "১৯৩৬" ], "answer_start": [ 2110 ] }
1531
null
১৮০৩ খ্রিষ্টাব্দে দ্বিতীয় ইঙ্গ-মারাঠা যুদ্ধে মারাঠারা ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কাছে পরাজিত হলে উত্তরপ্রদেশের অধিকাংশ অঞ্চল ব্রিটিশদের অধিকারে চলে আসে। ১৮শ শতাব্দীর মধ্যভাগে বাংলায় ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনের সূত্রপাত হয়। এরপর উত্তর ভারতে বেশ কয়েকটি যুদ্ধের পর উত্তরপ্রদেশ ভূখণ্ড ব্রিটিশদের অধীনে আসে। আজমির ও জয়পুর এই উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশের অন্তর্ভুক্ত হয় এবং এর নামকরণ করা হয় (আগ্রার) ‘উত্তরপশ্চিম প্রদেশ’। পরবর্তীকালে উত্তরপ্রদেশ ভূখণ্ডে ব্রিটিশ ভারতের পঞ্চম বৃহত্তম প্রদেশটি গঠিত হলেও সেই সময় ব্রিটিশ ভারতীয় সাম্রাজ্যে আগ্রার উত্তরপশ্চিম প্রদেশ ছিল ক্ষুদ্রতম প্রদেশ। এই প্রদেশের রাজধানী দুবার আগ্রা ও এলাহাবাদের মধ্যে পরিবর্তিত হয়। উত্তর ভারতে ব্রিটিশ শাসনে অসন্তুষ্ট হয়ে একাধিক বিদ্রোহ দানা বাঁধে। মিরাট ক্যান্টনমেন্টে নিযুক্ত বেঙ্গল রেজিমেন্টের সেপাই মঙ্গল পাণ্ডেকে এই বিদ্রোহের সূচনা ঘটানোর কৃতিত্ব দেওয়া হয়। পরবর্তীকালে এই বিদ্রোহ সিপাহি বিদ্রোহ নামে পরিচিত হয়। এই বিদ্রোহ ব্যর্থ হওয়ার পর ব্রিটিশরা সর্বাধিক বিদ্রোহী-অধ্যুষিত অঞ্চলগুলিকে বিভাজিত করে একটি প্রশাসনিক সীমানা পুনর্গঠনের কাজ শুরু করে। এই সময় আগ্রার উত্তরপশ্চিম প্রদেশ থেকে দিল্লিকে বিচ্ছিন্ন করে পাঞ্জাবের সঙ্গে এবং আজমির-মারওয়ারকে রাজপুতানার সঙ্গে যুক্ত করা হয়। অন্যদিকে অবধকে এই প্রদেশের সঙ্গে যুক্ত করা হয়। নতুন রাজ্যের নামকরণ হয় ‘আগ্রা ও অবধের উত্তরপশ্চিম প্রদেশ’। ১৯০২ সালে এই রাজ্যের নাম বদলে রাখা হয় ‘আগ্রা ও অবধের যুক্তপ্রদেশ’। সাধারণত এটিকে ‘যুক্তপ্রদেশ’ নামেই ডাকা হত। ১৯২০ সালে এই প্রদেশের রাজধানী এলাহাবাদ থেকে লখনউতে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। হাইকোর্টটি এলাহাবাদেই থেকে যায়, তবে লখনউতে তার একটি শাখা স্থাপিত হয়। এলাহাবাদ এখনও উত্তরপ্রদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক কেন্দ্র। কারণ, অনেক প্রশাসনিক সদর এই শহরে অবস্থিত। ভারতীয় রাজনীতিতে উত্তরপ্রদেশ কেন্দ্রীয় ভূমিকা গ্রহণ করতে শুরু করে এই সময় থেকেই। এই রাজ্য ছিল ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম কেন্দ্র। কাশী হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়, আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় ও দারুল উলুম দেওবন্দের মতো কিছু আধুনিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এই রাজ্যে অবস্থিত। উত্তরপ্রদেশের যে সব বাসিন্দারা স্বাধীনতা আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন চন্দ্রশেখর আজাদ, ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের নেতা মতিলাল নেহেরু, জওহরলাল নেহেরু, মদনমোহন মালব্য ও গোবিন্দবল্লভ পন্ত প্রমুখ। ১৯৩৬ সালের ১১ এপ্রিল ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের লখনউ অধিবেশনে সারা ভারত কৃষক সভা প্রতিষ্ঠিত হয়। বিশিষ্ট জাতীয়তাবাদী স্বামী সহজানন্দ সরস্বতী ছিলেন এই সভার প্রথম প্রেসিডেন্ট। কৃষকসভার উদ্দেশ্য ছিল কৃষকদের দীর্ঘকালীন দুরবস্থার জন্য জমিদারি প্রথার বিরুদ্ধে তাদের সংগঠিত করে তোলা। কৃষকসভার আন্দোলনের ফলে ভারতে চাষিরা জমিদারদে অন্যায় অত্যাচারের বিরুদ্ধে সরব হতে শুরু করে। ১৯৪২ সালে ভারত ছাড়ো আন্দোলনের সময় বালিয়া জেলা ঔপনিবেশিক শাসন উৎখাত করে একটি স্বাধীন প্রশাসন গঠন করতে সক্ষম হয়েছিল। এই প্রশাসন গঠনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন চিত্তু পাণ্ডে। ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে অবদানের জন্য বালিয়াকে বলা হয় ‘বাঘী বালিয়া’ (বিদ্রোহী বালিয়া)। ভারতের স্বাধীনতা অর্জনের পর ১৯৫০ সালে যুক্তপ্রদেশের নাম পালটে ‘উত্তরপ্রদেশ’ রাখা হয়। এই রাজ্য থেকে সাত জন ব্যক্তি ভারতের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। ভারতীয় সংসদের লোকসভায় এই রাজ্যের প্রতিনিধিসংখ্যা সর্বাধিক। কিন্তু রাজনৈতিক প্রভাব সত্ত্বেও, অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও প্রশাসন পরিচালনার কাজে এই রাজ্যের গতি শ্লথ। সংগঠিত অপরাধের আধিক্য ও ক্রমবর্ধমান দুর্নীতি এই রাজ্যকে ভারতের পিছিয়ে পড়া রাজ্যগুলির মধ্যে অন্যতম করে তুলেছে। জাতিগত ও সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনাও এই রাজ্যে বেশি ঘটে।
কত সালে উত্তরাখন্ড গঠিত হয় ?
{ "text": [ "" ], "answer_start": [ null ] }
1532
null
১৮০৩ খ্রিষ্টাব্দে দ্বিতীয় ইঙ্গ-মারাঠা যুদ্ধে মারাঠারা ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কাছে পরাজিত হলে উত্তরপ্রদেশের অধিকাংশ অঞ্চল ব্রিটিশদের অধিকারে চলে আসে। ১৮শ শতাব্দীর মধ্যভাগে বাংলায় ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনের সূত্রপাত হয়। এরপর উত্তর ভারতে বেশ কয়েকটি যুদ্ধের পর উত্তরপ্রদেশ ভূখণ্ড ব্রিটিশদের অধীনে আসে। আজমির ও জয়পুর এই উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশের অন্তর্ভুক্ত হয় এবং এর নামকরণ করা হয় (আগ্রার) ‘উত্তরপশ্চিম প্রদেশ’। পরবর্তীকালে উত্তরপ্রদেশ ভূখণ্ডে ব্রিটিশ ভারতের পঞ্চম বৃহত্তম প্রদেশটি গঠিত হলেও সেই সময় ব্রিটিশ ভারতীয় সাম্রাজ্যে আগ্রার উত্তরপশ্চিম প্রদেশ ছিল ক্ষুদ্রতম প্রদেশ। এই প্রদেশের রাজধানী দুবার আগ্রা ও এলাহাবাদের মধ্যে পরিবর্তিত হয়। উত্তর ভারতে ব্রিটিশ শাসনে অসন্তুষ্ট হয়ে একাধিক বিদ্রোহ দানা বাঁধে। মিরাট ক্যান্টনমেন্টে নিযুক্ত বেঙ্গল রেজিমেন্টের সেপাই মঙ্গল পাণ্ডেকে এই বিদ্রোহের সূচনা ঘটানোর কৃতিত্ব দেওয়া হয়। পরবর্তীকালে এই বিদ্রোহ সিপাহি বিদ্রোহ নামে পরিচিত হয়। এই বিদ্রোহ ব্যর্থ হওয়ার পর ব্রিটিশরা সর্বাধিক বিদ্রোহী-অধ্যুষিত অঞ্চলগুলিকে বিভাজিত করে একটি প্রশাসনিক সীমানা পুনর্গঠনের কাজ শুরু করে। এই সময় আগ্রার উত্তরপশ্চিম প্রদেশ থেকে দিল্লিকে বিচ্ছিন্ন করে পাঞ্জাবের সঙ্গে এবং আজমির-মারওয়ারকে রাজপুতানার সঙ্গে যুক্ত করা হয়। অন্যদিকে অবধকে এই প্রদেশের সঙ্গে যুক্ত করা হয়। নতুন রাজ্যের নামকরণ হয় ‘আগ্রা ও অবধের উত্তরপশ্চিম প্রদেশ’। ১৯০২ সালে এই রাজ্যের নাম বদলে রাখা হয় ‘আগ্রা ও অবধের যুক্তপ্রদেশ’। সাধারণত এটিকে ‘যুক্তপ্রদেশ’ নামেই ডাকা হত। ১৯২০ সালে এই প্রদেশের রাজধানী এলাহাবাদ থেকে লখনউতে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। হাইকোর্টটি এলাহাবাদেই থেকে যায়, তবে লখনউতে তার একটি শাখা স্থাপিত হয়। এলাহাবাদ এখনও উত্তরপ্রদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক কেন্দ্র। কারণ, অনেক প্রশাসনিক সদর এই শহরে অবস্থিত। ভারতীয় রাজনীতিতে উত্তরপ্রদেশ কেন্দ্রীয় ভূমিকা গ্রহণ করতে শুরু করে এই সময় থেকেই। এই রাজ্য ছিল ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম কেন্দ্র। কাশী হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়, আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় ও দারুল উলুম দেওবন্দের মতো কিছু আধুনিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এই রাজ্যে অবস্থিত। উত্তরপ্রদেশের যে সব বাসিন্দারা স্বাধীনতা আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন চন্দ্রশেখর আজাদ, ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের নেতা মতিলাল নেহেরু, জওহরলাল নেহেরু, মদনমোহন মালব্য ও গোবিন্দবল্লভ পন্ত প্রমুখ। ১৯৩৬ সালের ১১ এপ্রিল ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের লখনউ অধিবেশনে সারা ভারত কৃষক সভা প্রতিষ্ঠিত হয়। বিশিষ্ট জাতীয়তাবাদী স্বামী সহজানন্দ সরস্বতী ছিলেন এই সভার প্রথম প্রেসিডেন্ট। কৃষকসভার উদ্দেশ্য ছিল কৃষকদের দীর্ঘকালীন দুরবস্থার জন্য জমিদারি প্রথার বিরুদ্ধে তাদের সংগঠিত করে তোলা। কৃষকসভার আন্দোলনের ফলে ভারতে চাষিরা জমিদারদে অন্যায় অত্যাচারের বিরুদ্ধে সরব হতে শুরু করে। ১৯৪২ সালে ভারত ছাড়ো আন্দোলনের সময় বালিয়া জেলা ঔপনিবেশিক শাসন উৎখাত করে একটি স্বাধীন প্রশাসন গঠন করতে সক্ষম হয়েছিল। এই প্রশাসন গঠনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন চিত্তু পাণ্ডে। ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে অবদানের জন্য বালিয়াকে বলা হয় ‘বাঘী বালিয়া’ (বিদ্রোহী বালিয়া)। ভারতের স্বাধীনতা অর্জনের পর ১৯৫০ সালে যুক্তপ্রদেশের নাম পালটে ‘উত্তরপ্রদেশ’ রাখা হয়। এই রাজ্য থেকে সাত জন ব্যক্তি ভারতের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। ভারতীয় সংসদের লোকসভায় এই রাজ্যের প্রতিনিধিসংখ্যা সর্বাধিক। কিন্তু রাজনৈতিক প্রভাব সত্ত্বেও, অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও প্রশাসন পরিচালনার কাজে এই রাজ্যের গতি শ্লথ। সংগঠিত অপরাধের আধিক্য ও ক্রমবর্ধমান দুর্নীতি এই রাজ্যকে ভারতের পিছিয়ে পড়া রাজ্যগুলির মধ্যে অন্যতম করে তুলেছে। জাতিগত ও সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনাও এই রাজ্যে বেশি ঘটে।
সর্বভারতীয় কিষানসভার প্রথম সভাপতির নাম কী ?
{ "text": [ "স্বামী সহজানন্দ সরস্বতী" ], "answer_start": [ 2225 ] }
1533
null
১৮০৩ খ্রিষ্টাব্দে দ্বিতীয় ইঙ্গ-মারাঠা যুদ্ধে মারাঠারা ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কাছে পরাজিত হলে উত্তরপ্রদেশের অধিকাংশ অঞ্চল ব্রিটিশদের অধিকারে চলে আসে। ১৮শ শতাব্দীর মধ্যভাগে বাংলায় ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনের সূত্রপাত হয়। এরপর উত্তর ভারতে বেশ কয়েকটি যুদ্ধের পর উত্তরপ্রদেশ ভূখণ্ড ব্রিটিশদের অধীনে আসে। আজমির ও জয়পুর এই উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশের অন্তর্ভুক্ত হয় এবং এর নামকরণ করা হয় (আগ্রার) ‘উত্তরপশ্চিম প্রদেশ’। পরবর্তীকালে উত্তরপ্রদেশ ভূখণ্ডে ব্রিটিশ ভারতের পঞ্চম বৃহত্তম প্রদেশটি গঠিত হলেও সেই সময় ব্রিটিশ ভারতীয় সাম্রাজ্যে আগ্রার উত্তরপশ্চিম প্রদেশ ছিল ক্ষুদ্রতম প্রদেশ। এই প্রদেশের রাজধানী দুবার আগ্রা ও এলাহাবাদের মধ্যে পরিবর্তিত হয়। উত্তর ভারতে ব্রিটিশ শাসনে অসন্তুষ্ট হয়ে একাধিক বিদ্রোহ দানা বাঁধে। মিরাট ক্যান্টনমেন্টে নিযুক্ত বেঙ্গল রেজিমেন্টের সেপাই মঙ্গল পাণ্ডেকে এই বিদ্রোহের সূচনা ঘটানোর কৃতিত্ব দেওয়া হয়। পরবর্তীকালে এই বিদ্রোহ সিপাহি বিদ্রোহ নামে পরিচিত হয়। এই বিদ্রোহ ব্যর্থ হওয়ার পর ব্রিটিশরা সর্বাধিক বিদ্রোহী-অধ্যুষিত অঞ্চলগুলিকে বিভাজিত করে একটি প্রশাসনিক সীমানা পুনর্গঠনের কাজ শুরু করে। এই সময় আগ্রার উত্তরপশ্চিম প্রদেশ থেকে দিল্লিকে বিচ্ছিন্ন করে পাঞ্জাবের সঙ্গে এবং আজমির-মারওয়ারকে রাজপুতানার সঙ্গে যুক্ত করা হয়। অন্যদিকে অবধকে এই প্রদেশের সঙ্গে যুক্ত করা হয়। নতুন রাজ্যের নামকরণ হয় ‘আগ্রা ও অবধের উত্তরপশ্চিম প্রদেশ’। ১৯০২ সালে এই রাজ্যের নাম বদলে রাখা হয় ‘আগ্রা ও অবধের যুক্তপ্রদেশ’। সাধারণত এটিকে ‘যুক্তপ্রদেশ’ নামেই ডাকা হত। ১৯২০ সালে এই প্রদেশের রাজধানী এলাহাবাদ থেকে লখনউতে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। হাইকোর্টটি এলাহাবাদেই থেকে যায়, তবে লখনউতে তার একটি শাখা স্থাপিত হয়। এলাহাবাদ এখনও উত্তরপ্রদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক কেন্দ্র। কারণ, অনেক প্রশাসনিক সদর এই শহরে অবস্থিত। ভারতীয় রাজনীতিতে উত্তরপ্রদেশ কেন্দ্রীয় ভূমিকা গ্রহণ করতে শুরু করে এই সময় থেকেই। এই রাজ্য ছিল ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম কেন্দ্র। কাশী হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়, আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় ও দারুল উলুম দেওবন্দের মতো কিছু আধুনিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এই রাজ্যে অবস্থিত। উত্তরপ্রদেশের যে সব বাসিন্দারা স্বাধীনতা আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন চন্দ্রশেখর আজাদ, ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের নেতা মতিলাল নেহেরু, জওহরলাল নেহেরু, মদনমোহন মালব্য ও গোবিন্দবল্লভ পন্ত প্রমুখ। ১৯৩৬ সালের ১১ এপ্রিল ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের লখনউ অধিবেশনে সারা ভারত কৃষক সভা প্রতিষ্ঠিত হয়। বিশিষ্ট জাতীয়তাবাদী স্বামী সহজানন্দ সরস্বতী ছিলেন এই সভার প্রথম প্রেসিডেন্ট। কৃষকসভার উদ্দেশ্য ছিল কৃষকদের দীর্ঘকালীন দুরবস্থার জন্য জমিদারি প্রথার বিরুদ্ধে তাদের সংগঠিত করে তোলা। কৃষকসভার আন্দোলনের ফলে ভারতে চাষিরা জমিদারদে অন্যায় অত্যাচারের বিরুদ্ধে সরব হতে শুরু করে। ১৯৪২ সালে ভারত ছাড়ো আন্দোলনের সময় বালিয়া জেলা ঔপনিবেশিক শাসন উৎখাত করে একটি স্বাধীন প্রশাসন গঠন করতে সক্ষম হয়েছিল। এই প্রশাসন গঠনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন চিত্তু পাণ্ডে। ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে অবদানের জন্য বালিয়াকে বলা হয় ‘বাঘী বালিয়া’ (বিদ্রোহী বালিয়া)। ভারতের স্বাধীনতা অর্জনের পর ১৯৫০ সালে যুক্তপ্রদেশের নাম পালটে ‘উত্তরপ্রদেশ’ রাখা হয়। এই রাজ্য থেকে সাত জন ব্যক্তি ভারতের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। ভারতীয় সংসদের লোকসভায় এই রাজ্যের প্রতিনিধিসংখ্যা সর্বাধিক। কিন্তু রাজনৈতিক প্রভাব সত্ত্বেও, অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও প্রশাসন পরিচালনার কাজে এই রাজ্যের গতি শ্লথ। সংগঠিত অপরাধের আধিক্য ও ক্রমবর্ধমান দুর্নীতি এই রাজ্যকে ভারতের পিছিয়ে পড়া রাজ্যগুলির মধ্যে অন্যতম করে তুলেছে। জাতিগত ও সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনাও এই রাজ্যে বেশি ঘটে।
কত সালে বাবরি মসজিদ ধ্বংস হয় ?
{ "text": [ "" ], "answer_start": [ null ] }
1534
null
১৮০৩ খ্রিষ্টাব্দে দ্বিতীয় ইঙ্গ-মারাঠা যুদ্ধে মারাঠারা ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কাছে পরাজিত হলে উত্তরপ্রদেশের অধিকাংশ অঞ্চল ব্রিটিশদের অধিকারে চলে আসে। ১৮শ শতাব্দীর মধ্যভাগে বাংলায় ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনের সূত্রপাত হয়। এরপর উত্তর ভারতে বেশ কয়েকটি যুদ্ধের পর উত্তরপ্রদেশ ভূখণ্ড ব্রিটিশদের অধীনে আসে। আজমির ও জয়পুর এই উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশের অন্তর্ভুক্ত হয় এবং এর নামকরণ করা হয় (আগ্রার) ‘উত্তরপশ্চিম প্রদেশ’। পরবর্তীকালে উত্তরপ্রদেশ ভূখণ্ডে ব্রিটিশ ভারতের পঞ্চম বৃহত্তম প্রদেশটি গঠিত হলেও সেই সময় ব্রিটিশ ভারতীয় সাম্রাজ্যে আগ্রার উত্তরপশ্চিম প্রদেশ ছিল ক্ষুদ্রতম প্রদেশ। এই প্রদেশের রাজধানী দুবার আগ্রা ও এলাহাবাদের মধ্যে পরিবর্তিত হয়। উত্তর ভারতে ব্রিটিশ শাসনে অসন্তুষ্ট হয়ে একাধিক বিদ্রোহ দানা বাঁধে। মিরাট ক্যান্টনমেন্টে নিযুক্ত বেঙ্গল রেজিমেন্টের সেপাই মঙ্গল পাণ্ডেকে এই বিদ্রোহের সূচনা ঘটানোর কৃতিত্ব দেওয়া হয়। পরবর্তীকালে এই বিদ্রোহ সিপাহি বিদ্রোহ নামে পরিচিত হয়। এই বিদ্রোহ ব্যর্থ হওয়ার পর ব্রিটিশরা সর্বাধিক বিদ্রোহী-অধ্যুষিত অঞ্চলগুলিকে বিভাজিত করে একটি প্রশাসনিক সীমানা পুনর্গঠনের কাজ শুরু করে। এই সময় আগ্রার উত্তরপশ্চিম প্রদেশ থেকে দিল্লিকে বিচ্ছিন্ন করে পাঞ্জাবের সঙ্গে এবং আজমির-মারওয়ারকে রাজপুতানার সঙ্গে যুক্ত করা হয়। অন্যদিকে অবধকে এই প্রদেশের সঙ্গে যুক্ত করা হয়। নতুন রাজ্যের নামকরণ হয় ‘আগ্রা ও অবধের উত্তরপশ্চিম প্রদেশ’। ১৯০২ সালে এই রাজ্যের নাম বদলে রাখা হয় ‘আগ্রা ও অবধের যুক্তপ্রদেশ’। সাধারণত এটিকে ‘যুক্তপ্রদেশ’ নামেই ডাকা হত। ১৯২০ সালে এই প্রদেশের রাজধানী এলাহাবাদ থেকে লখনউতে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। হাইকোর্টটি এলাহাবাদেই থেকে যায়, তবে লখনউতে তার একটি শাখা স্থাপিত হয়। এলাহাবাদ এখনও উত্তরপ্রদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক কেন্দ্র। কারণ, অনেক প্রশাসনিক সদর এই শহরে অবস্থিত। ভারতীয় রাজনীতিতে উত্তরপ্রদেশ কেন্দ্রীয় ভূমিকা গ্রহণ করতে শুরু করে এই সময় থেকেই। এই রাজ্য ছিল ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম কেন্দ্র। কাশী হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়, আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় ও দারুল উলুম দেওবন্দের মতো কিছু আধুনিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এই রাজ্যে অবস্থিত। উত্তরপ্রদেশের যে সব বাসিন্দারা স্বাধীনতা আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন চন্দ্রশেখর আজাদ, ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের নেতা মতিলাল নেহেরু, জওহরলাল নেহেরু, মদনমোহন মালব্য ও গোবিন্দবল্লভ পন্ত প্রমুখ। ১৯৩৬ সালের ১১ এপ্রিল ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের লখনউ অধিবেশনে সারা ভারত কৃষক সভা প্রতিষ্ঠিত হয়। বিশিষ্ট জাতীয়তাবাদী স্বামী সহজানন্দ সরস্বতী ছিলেন এই সভার প্রথম প্রেসিডেন্ট। কৃষকসভার উদ্দেশ্য ছিল কৃষকদের দীর্ঘকালীন দুরবস্থার জন্য জমিদারি প্রথার বিরুদ্ধে তাদের সংগঠিত করে তোলা। কৃষকসভার আন্দোলনের ফলে ভারতে চাষিরা জমিদারদে অন্যায় অত্যাচারের বিরুদ্ধে সরব হতে শুরু করে। ১৯৪২ সালে ভারত ছাড়ো আন্দোলনের সময় বালিয়া জেলা ঔপনিবেশিক শাসন উৎখাত করে একটি স্বাধীন প্রশাসন গঠন করতে সক্ষম হয়েছিল। এই প্রশাসন গঠনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন চিত্তু পাণ্ডে। ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে অবদানের জন্য বালিয়াকে বলা হয় ‘বাঘী বালিয়া’ (বিদ্রোহী বালিয়া)। ভারতের স্বাধীনতা অর্জনের পর ১৯৫০ সালে যুক্তপ্রদেশের নাম পালটে ‘উত্তরপ্রদেশ’ রাখা হয়। এই রাজ্য থেকে সাত জন ব্যক্তি ভারতের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। ভারতীয় সংসদের লোকসভায় এই রাজ্যের প্রতিনিধিসংখ্যা সর্বাধিক। কিন্তু রাজনৈতিক প্রভাব সত্ত্বেও, অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও প্রশাসন পরিচালনার কাজে এই রাজ্যের গতি শ্লথ। সংগঠিত অপরাধের আধিক্য ও ক্রমবর্ধমান দুর্নীতি এই রাজ্যকে ভারতের পিছিয়ে পড়া রাজ্যগুলির মধ্যে অন্যতম করে তুলেছে। জাতিগত ও সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনাও এই রাজ্যে বেশি ঘটে।
কত সালে দ্বিতীয় ইঙ্গ-মারাঠা যুদ্ধ শুরু হয় ?
{ "text": [ "১৮০৩" ], "answer_start": [ 0 ] }
1535
null
১৮১৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হিন্দু কলেজ ভারতের সবচেয়ে পুরনো সুবিখ্যাত কলেজগুলির অন্যতম। ১৮৫৫ সালে এই কলেজটির নাম বদলে প্রেসিডেন্সি কলেজ রাখা হয়। ২০১০ সাল পর্যন্ত কলেজটি ছিল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক অনুমোদিত। ওই বছরই কলেজটি বিশ্ববিদ্যালয় স্তরে উন্নীত হয় এবং প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় নামে চিহ্নিত হয়। হাওড়ার ভারতীয় প্রকৌশল বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তিবিদ্যা প্রতিষ্ঠান ভারতের দ্বিতীয় প্রাচীনতম ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এই বিশ্ববিদ্যালয়টি ভারতের প্রথম ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ারিং সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি বা আইআইইএসটি স্তরে উন্নীত হয় এবং জাতীয় গুরুত্বসম্পন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঘোষিত হয়। ১৯৬১ সালে দক্ষিণ-পশ্চিম শহরতলির জোকায় প্রতিষ্ঠিত ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট ক্যালকাটা দেশের ম্যানেজমেন্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে সর্বাগ্রে স্থাপিত। ২০০৬ সালে কলকাতায় প্রতিষ্ঠিত ভারতীয় বৈদেশিক বাণিজ্য প্রতিষ্ঠান দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। কলকাতায় স্থাপিত পশ্চিমবঙ্গ জাতীয় আইনবিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয় হল ভারতের অন্যতম স্বশাসিত আইন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউট হল একটি সরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান তথা বিশ্ববিদ্যালয়। রাজ্য সরকারের মালিকানাধীন মৌলানা আবুল কালাম আজাদ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পূর্বতন নাম পশ্চিমবঙ্গ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়]] হল ভর্তি হওয়া ছাত্রছাত্রীদের সংখ্যা এবং এই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক অনুমোদিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলির সংখ্যার নিরিখে ভারতের বৃহত্তম প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। এছাড়া বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দ এডুকেশনাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট ও ইউনিভার্সিটি অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট (ইউইএম) বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
পদার্থবিদ সত্যেন্দ্র নাথ বসু কোথায় জন্ম গ্রহন করেছিলেন?
{ "text": [ "" ], "answer_start": [ null ] }
1536
null
১৮১৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হিন্দু কলেজ ভারতের সবচেয়ে পুরনো সুবিখ্যাত কলেজগুলির অন্যতম। ১৮৫৫ সালে এই কলেজটির নাম বদলে প্রেসিডেন্সি কলেজ রাখা হয়। ২০১০ সাল পর্যন্ত কলেজটি ছিল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক অনুমোদিত। ওই বছরই কলেজটি বিশ্ববিদ্যালয় স্তরে উন্নীত হয় এবং প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় নামে চিহ্নিত হয়। হাওড়ার ভারতীয় প্রকৌশল বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তিবিদ্যা প্রতিষ্ঠান ভারতের দ্বিতীয় প্রাচীনতম ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এই বিশ্ববিদ্যালয়টি ভারতের প্রথম ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ারিং সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি বা আইআইইএসটি স্তরে উন্নীত হয় এবং জাতীয় গুরুত্বসম্পন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঘোষিত হয়। ১৯৬১ সালে দক্ষিণ-পশ্চিম শহরতলির জোকায় প্রতিষ্ঠিত ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট ক্যালকাটা দেশের ম্যানেজমেন্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে সর্বাগ্রে স্থাপিত। ২০০৬ সালে কলকাতায় প্রতিষ্ঠিত ভারতীয় বৈদেশিক বাণিজ্য প্রতিষ্ঠান দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। কলকাতায় স্থাপিত পশ্চিমবঙ্গ জাতীয় আইনবিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয় হল ভারতের অন্যতম স্বশাসিত আইন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউট হল একটি সরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান তথা বিশ্ববিদ্যালয়। রাজ্য সরকারের মালিকানাধীন মৌলানা আবুল কালাম আজাদ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পূর্বতন নাম পশ্চিমবঙ্গ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়]] হল ভর্তি হওয়া ছাত্রছাত্রীদের সংখ্যা এবং এই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক অনুমোদিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলির সংখ্যার নিরিখে ভারতের বৃহত্তম প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। এছাড়া বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দ এডুকেশনাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট ও ইউনিভার্সিটি অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট (ইউইএম) বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
প্রশান্ত চন্দ্র মহলানবিস এবং অনিল কুমার গাই কি ছিলেন?
{ "text": [ "" ], "answer_start": [ null ] }
1537
null
১৮১৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হিন্দু কলেজ ভারতের সবচেয়ে পুরনো সুবিখ্যাত কলেজগুলির অন্যতম। ১৮৫৫ সালে এই কলেজটির নাম বদলে প্রেসিডেন্সি কলেজ রাখা হয়। ২০১০ সাল পর্যন্ত কলেজটি ছিল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক অনুমোদিত। ওই বছরই কলেজটি বিশ্ববিদ্যালয় স্তরে উন্নীত হয় এবং প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় নামে চিহ্নিত হয়। হাওড়ার ভারতীয় প্রকৌশল বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তিবিদ্যা প্রতিষ্ঠান ভারতের দ্বিতীয় প্রাচীনতম ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এই বিশ্ববিদ্যালয়টি ভারতের প্রথম ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ারিং সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি বা আইআইইএসটি স্তরে উন্নীত হয় এবং জাতীয় গুরুত্বসম্পন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঘোষিত হয়। ১৯৬১ সালে দক্ষিণ-পশ্চিম শহরতলির জোকায় প্রতিষ্ঠিত ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট ক্যালকাটা দেশের ম্যানেজমেন্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে সর্বাগ্রে স্থাপিত। ২০০৬ সালে কলকাতায় প্রতিষ্ঠিত ভারতীয় বৈদেশিক বাণিজ্য প্রতিষ্ঠান দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। কলকাতায় স্থাপিত পশ্চিমবঙ্গ জাতীয় আইনবিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয় হল ভারতের অন্যতম স্বশাসিত আইন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউট হল একটি সরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান তথা বিশ্ববিদ্যালয়। রাজ্য সরকারের মালিকানাধীন মৌলানা আবুল কালাম আজাদ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পূর্বতন নাম পশ্চিমবঙ্গ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়]] হল ভর্তি হওয়া ছাত্রছাত্রীদের সংখ্যা এবং এই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক অনুমোদিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলির সংখ্যার নিরিখে ভারতের বৃহত্তম প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। এছাড়া বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দ এডুকেশনাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট ও ইউনিভার্সিটি অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট (ইউইএম) বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
2010 পর্যন্ত প্রেসিডেন্সি কলেজ কোন্ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত ছিল?
{ "text": [ "কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়" ], "answer_start": [ 166 ] }
1538
null
১৮১৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হিন্দু কলেজ ভারতের সবচেয়ে পুরনো সুবিখ্যাত কলেজগুলির অন্যতম। ১৮৫৫ সালে এই কলেজটির নাম বদলে প্রেসিডেন্সি কলেজ রাখা হয়। ২০১০ সাল পর্যন্ত কলেজটি ছিল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক অনুমোদিত। ওই বছরই কলেজটি বিশ্ববিদ্যালয় স্তরে উন্নীত হয় এবং প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় নামে চিহ্নিত হয়। হাওড়ার ভারতীয় প্রকৌশল বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তিবিদ্যা প্রতিষ্ঠান ভারতের দ্বিতীয় প্রাচীনতম ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এই বিশ্ববিদ্যালয়টি ভারতের প্রথম ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ারিং সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি বা আইআইইএসটি স্তরে উন্নীত হয় এবং জাতীয় গুরুত্বসম্পন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঘোষিত হয়। ১৯৬১ সালে দক্ষিণ-পশ্চিম শহরতলির জোকায় প্রতিষ্ঠিত ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট ক্যালকাটা দেশের ম্যানেজমেন্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে সর্বাগ্রে স্থাপিত। ২০০৬ সালে কলকাতায় প্রতিষ্ঠিত ভারতীয় বৈদেশিক বাণিজ্য প্রতিষ্ঠান দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। কলকাতায় স্থাপিত পশ্চিমবঙ্গ জাতীয় আইনবিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয় হল ভারতের অন্যতম স্বশাসিত আইন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউট হল একটি সরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান তথা বিশ্ববিদ্যালয়। রাজ্য সরকারের মালিকানাধীন মৌলানা আবুল কালাম আজাদ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পূর্বতন নাম পশ্চিমবঙ্গ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়]] হল ভর্তি হওয়া ছাত্রছাত্রীদের সংখ্যা এবং এই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক অনুমোদিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলির সংখ্যার নিরিখে ভারতের বৃহত্তম প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। এছাড়া বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দ এডুকেশনাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট ও ইউনিভার্সিটি অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট (ইউইএম) বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
উপেন্দ্রনাথ ব্রহ্মচারী কোন পেশার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন ?
{ "text": [ "" ], "answer_start": [ null ] }
1539
null
১৮১৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হিন্দু কলেজ ভারতের সবচেয়ে পুরনো সুবিখ্যাত কলেজগুলির অন্যতম। ১৮৫৫ সালে এই কলেজটির নাম বদলে প্রেসিডেন্সি কলেজ রাখা হয়। ২০১০ সাল পর্যন্ত কলেজটি ছিল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক অনুমোদিত। ওই বছরই কলেজটি বিশ্ববিদ্যালয় স্তরে উন্নীত হয় এবং প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় নামে চিহ্নিত হয়। হাওড়ার ভারতীয় প্রকৌশল বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তিবিদ্যা প্রতিষ্ঠান ভারতের দ্বিতীয় প্রাচীনতম ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এই বিশ্ববিদ্যালয়টি ভারতের প্রথম ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ারিং সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি বা আইআইইএসটি স্তরে উন্নীত হয় এবং জাতীয় গুরুত্বসম্পন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঘোষিত হয়। ১৯৬১ সালে দক্ষিণ-পশ্চিম শহরতলির জোকায় প্রতিষ্ঠিত ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট ক্যালকাটা দেশের ম্যানেজমেন্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে সর্বাগ্রে স্থাপিত। ২০০৬ সালে কলকাতায় প্রতিষ্ঠিত ভারতীয় বৈদেশিক বাণিজ্য প্রতিষ্ঠান দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। কলকাতায় স্থাপিত পশ্চিমবঙ্গ জাতীয় আইনবিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয় হল ভারতের অন্যতম স্বশাসিত আইন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউট হল একটি সরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান তথা বিশ্ববিদ্যালয়। রাজ্য সরকারের মালিকানাধীন মৌলানা আবুল কালাম আজাদ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পূর্বতন নাম পশ্চিমবঙ্গ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়]] হল ভর্তি হওয়া ছাত্রছাত্রীদের সংখ্যা এবং এই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক অনুমোদিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলির সংখ্যার নিরিখে ভারতের বৃহত্তম প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। এছাড়া বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দ এডুকেশনাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট ও ইউনিভার্সিটি অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট (ইউইএম) বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
1855 সালে হিন্দু কলেজের নাম পরিবর্তন করে কি করা হয়?
{ "text": [ "প্রেসিডেন্সি কলেজ" ], "answer_start": [ 111 ] }
1540
null
১৮১৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হিন্দু কলেজ ভারতের সবচেয়ে পুরনো সুবিখ্যাত কলেজগুলির অন্যতম। ১৮৫৫ সালে এই কলেজটির নাম বদলে প্রেসিডেন্সি কলেজ রাখা হয়। ২০১০ সাল পর্যন্ত কলেজটি ছিল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক অনুমোদিত। ওই বছরই কলেজটি বিশ্ববিদ্যালয় স্তরে উন্নীত হয় এবং প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় নামে চিহ্নিত হয়। হাওড়ার ভারতীয় প্রকৌশল বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তিবিদ্যা প্রতিষ্ঠান ভারতের দ্বিতীয় প্রাচীনতম ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এই বিশ্ববিদ্যালয়টি ভারতের প্রথম ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ারিং সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি বা আইআইইএসটি স্তরে উন্নীত হয় এবং জাতীয় গুরুত্বসম্পন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঘোষিত হয়। ১৯৬১ সালে দক্ষিণ-পশ্চিম শহরতলির জোকায় প্রতিষ্ঠিত ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট ক্যালকাটা দেশের ম্যানেজমেন্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে সর্বাগ্রে স্থাপিত। ২০০৬ সালে কলকাতায় প্রতিষ্ঠিত ভারতীয় বৈদেশিক বাণিজ্য প্রতিষ্ঠান দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। কলকাতায় স্থাপিত পশ্চিমবঙ্গ জাতীয় আইনবিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয় হল ভারতের অন্যতম স্বশাসিত আইন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউট হল একটি সরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান তথা বিশ্ববিদ্যালয়। রাজ্য সরকারের মালিকানাধীন মৌলানা আবুল কালাম আজাদ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পূর্বতন নাম পশ্চিমবঙ্গ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়]] হল ভর্তি হওয়া ছাত্রছাত্রীদের সংখ্যা এবং এই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক অনুমোদিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলির সংখ্যার নিরিখে ভারতের বৃহত্তম প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। এছাড়া বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দ এডুকেশনাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট ও ইউনিভার্সিটি অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট (ইউইএম) বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
কোন ভারতীয় পদার্থবিদ্যায় নোবেল প্রাইজ পেয়েছিলেন ?
{ "text": [ "" ], "answer_start": [ null ] }
1541
null
১৮১৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হিন্দু কলেজ ভারতের সবচেয়ে পুরনো সুবিখ্যাত কলেজগুলির অন্যতম। ১৮৫৫ সালে এই কলেজটির নাম বদলে প্রেসিডেন্সি কলেজ রাখা হয়। ২০১০ সাল পর্যন্ত কলেজটি ছিল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক অনুমোদিত। ওই বছরই কলেজটি বিশ্ববিদ্যালয় স্তরে উন্নীত হয় এবং প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় নামে চিহ্নিত হয়। হাওড়ার ভারতীয় প্রকৌশল বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তিবিদ্যা প্রতিষ্ঠান ভারতের দ্বিতীয় প্রাচীনতম ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এই বিশ্ববিদ্যালয়টি ভারতের প্রথম ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ারিং সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি বা আইআইইএসটি স্তরে উন্নীত হয় এবং জাতীয় গুরুত্বসম্পন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঘোষিত হয়। ১৯৬১ সালে দক্ষিণ-পশ্চিম শহরতলির জোকায় প্রতিষ্ঠিত ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট ক্যালকাটা দেশের ম্যানেজমেন্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে সর্বাগ্রে স্থাপিত। ২০০৬ সালে কলকাতায় প্রতিষ্ঠিত ভারতীয় বৈদেশিক বাণিজ্য প্রতিষ্ঠান দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। কলকাতায় স্থাপিত পশ্চিমবঙ্গ জাতীয় আইনবিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয় হল ভারতের অন্যতম স্বশাসিত আইন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউট হল একটি সরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান তথা বিশ্ববিদ্যালয়। রাজ্য সরকারের মালিকানাধীন মৌলানা আবুল কালাম আজাদ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পূর্বতন নাম পশ্চিমবঙ্গ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়]] হল ভর্তি হওয়া ছাত্রছাত্রীদের সংখ্যা এবং এই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক অনুমোদিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলির সংখ্যার নিরিখে ভারতের বৃহত্তম প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। এছাড়া বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দ এডুকেশনাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট ও ইউনিভার্সিটি অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট (ইউইএম) বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
কলকাতায় স্থাপিত কোন বিশ্ববিদ্যালয় হল ভারতের অন্যতম স্বশাসিত আইন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান?
{ "text": [ "পশ্চিমবঙ্গ জাতীয় আইনবিজ্ঞান" ], "answer_start": [ 892 ] }
1542
null
১৮১৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হিন্দু কলেজ ভারতের সবচেয়ে পুরনো সুবিখ্যাত কলেজগুলির অন্যতম। ১৮৫৫ সালে এই কলেজটির নাম বদলে প্রেসিডেন্সি কলেজ রাখা হয়। ২০১০ সাল পর্যন্ত কলেজটি ছিল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক অনুমোদিত। ওই বছরই কলেজটি বিশ্ববিদ্যালয় স্তরে উন্নীত হয় এবং প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় নামে চিহ্নিত হয়। হাওড়ার ভারতীয় প্রকৌশল বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তিবিদ্যা প্রতিষ্ঠান ভারতের দ্বিতীয় প্রাচীনতম ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এই বিশ্ববিদ্যালয়টি ভারতের প্রথম ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ারিং সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি বা আইআইইএসটি স্তরে উন্নীত হয় এবং জাতীয় গুরুত্বসম্পন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঘোষিত হয়। ১৯৬১ সালে দক্ষিণ-পশ্চিম শহরতলির জোকায় প্রতিষ্ঠিত ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট ক্যালকাটা দেশের ম্যানেজমেন্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে সর্বাগ্রে স্থাপিত। ২০০৬ সালে কলকাতায় প্রতিষ্ঠিত ভারতীয় বৈদেশিক বাণিজ্য প্রতিষ্ঠান দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। কলকাতায় স্থাপিত পশ্চিমবঙ্গ জাতীয় আইনবিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয় হল ভারতের অন্যতম স্বশাসিত আইন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউট হল একটি সরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান তথা বিশ্ববিদ্যালয়। রাজ্য সরকারের মালিকানাধীন মৌলানা আবুল কালাম আজাদ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পূর্বতন নাম পশ্চিমবঙ্গ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়]] হল ভর্তি হওয়া ছাত্রছাত্রীদের সংখ্যা এবং এই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক অনুমোদিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলির সংখ্যার নিরিখে ভারতের বৃহত্তম প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। এছাড়া বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দ এডুকেশনাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট ও ইউনিভার্সিটি অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট (ইউইএম) বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
মেঘনাদ সাহার জন্ম কোথায় হয়েছিল ?
{ "text": [ "" ], "answer_start": [ null ] }
1543
null
১৮১৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হিন্দু কলেজ ভারতের সবচেয়ে পুরনো সুবিখ্যাত কলেজগুলির অন্যতম। ১৮৫৫ সালে এই কলেজটির নাম বদলে প্রেসিডেন্সি কলেজ রাখা হয়। ২০১০ সাল পর্যন্ত কলেজটি ছিল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক অনুমোদিত। ওই বছরই কলেজটি বিশ্ববিদ্যালয় স্তরে উন্নীত হয় এবং প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় নামে চিহ্নিত হয়। হাওড়ার ভারতীয় প্রকৌশল বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তিবিদ্যা প্রতিষ্ঠান ভারতের দ্বিতীয় প্রাচীনতম ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এই বিশ্ববিদ্যালয়টি ভারতের প্রথম ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ারিং সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি বা আইআইইএসটি স্তরে উন্নীত হয় এবং জাতীয় গুরুত্বসম্পন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঘোষিত হয়। ১৯৬১ সালে দক্ষিণ-পশ্চিম শহরতলির জোকায় প্রতিষ্ঠিত ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট ক্যালকাটা দেশের ম্যানেজমেন্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে সর্বাগ্রে স্থাপিত। ২০০৬ সালে কলকাতায় প্রতিষ্ঠিত ভারতীয় বৈদেশিক বাণিজ্য প্রতিষ্ঠান দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। কলকাতায় স্থাপিত পশ্চিমবঙ্গ জাতীয় আইনবিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয় হল ভারতের অন্যতম স্বশাসিত আইন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউট হল একটি সরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান তথা বিশ্ববিদ্যালয়। রাজ্য সরকারের মালিকানাধীন মৌলানা আবুল কালাম আজাদ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পূর্বতন নাম পশ্চিমবঙ্গ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়]] হল ভর্তি হওয়া ছাত্রছাত্রীদের সংখ্যা এবং এই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক অনুমোদিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলির সংখ্যার নিরিখে ভারতের বৃহত্তম প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। এছাড়া বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দ এডুকেশনাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট ও ইউনিভার্সিটি অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট (ইউইএম) বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
হিন্দু কলেজ কত সালে প্রতিষ্ঠা হয়?
{ "text": [ "১৮১৭" ], "answer_start": [ 0 ] }
1544
null
১৮১৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হিন্দু কলেজ ভারতের সবচেয়ে পুরনো সুবিখ্যাত কলেজগুলির অন্যতম। ১৮৫৫ সালে এই কলেজটির নাম বদলে প্রেসিডেন্সি কলেজ রাখা হয়। ২০১০ সাল পর্যন্ত কলেজটি ছিল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক অনুমোদিত। ওই বছরই কলেজটি বিশ্ববিদ্যালয় স্তরে উন্নীত হয় এবং প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় নামে চিহ্নিত হয়। হাওড়ার ভারতীয় প্রকৌশল বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তিবিদ্যা প্রতিষ্ঠান ভারতের দ্বিতীয় প্রাচীনতম ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এই বিশ্ববিদ্যালয়টি ভারতের প্রথম ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ারিং সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি বা আইআইইএসটি স্তরে উন্নীত হয় এবং জাতীয় গুরুত্বসম্পন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঘোষিত হয়। ১৯৬১ সালে দক্ষিণ-পশ্চিম শহরতলির জোকায় প্রতিষ্ঠিত ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট ক্যালকাটা দেশের ম্যানেজমেন্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে সর্বাগ্রে স্থাপিত। ২০০৬ সালে কলকাতায় প্রতিষ্ঠিত ভারতীয় বৈদেশিক বাণিজ্য প্রতিষ্ঠান দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। কলকাতায় স্থাপিত পশ্চিমবঙ্গ জাতীয় আইনবিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয় হল ভারতের অন্যতম স্বশাসিত আইন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউট হল একটি সরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান তথা বিশ্ববিদ্যালয়। রাজ্য সরকারের মালিকানাধীন মৌলানা আবুল কালাম আজাদ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পূর্বতন নাম পশ্চিমবঙ্গ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়]] হল ভর্তি হওয়া ছাত্রছাত্রীদের সংখ্যা এবং এই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক অনুমোদিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলির সংখ্যার নিরিখে ভারতের বৃহত্তম প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। এছাড়া বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দ এডুকেশনাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট ও ইউনিভার্সিটি অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট (ইউইএম) বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
কত সালে হিন্দু কলেজের নাম পরিবর্তন করে প্রেসিডেন্সি কলেজ করা হয়?
{ "text": [ "১৮৫৫" ], "answer_start": [ 81 ] }
1545
null
১৮১৭ সালে মাউন্টস্টুয়ার্ট এলফিনস্টোনের নেতৃত্বে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি কিরকীর যুদ্ধে শেষ মারাঠা পেশোয়া দ্বিতীয় বাজি রাওকে পরাজিত করেন। এই পরাজয়ের সঙ্গে সঙ্গে সমগ্র দাক্ষিণাত্যে ব্রিটিশদের আধিপত্য স্থাপিত হয়। সমগ্র দক্ষিণ ভারত এরপর বোম্বাই প্রেসিডেন্সির অধিভুক্ত হয়েছিল। অন্যদিকে দাক্ষিণাত্যে ব্রিটিশদের সাফল্য বোম্বাইকে সকল প্রকার দেশীয় শক্তির আক্রমণের হাত থেকে মুক্তি দেয়। ১৮৪৫ সালের মধ্যে হর্নবি ভেলার্ড প্রকল্পের কল্যাণে বোম্বাইয়ের সাতটি দ্বীপ একক ভূখণ্ডে পরিণত হয়। ১৮৫৩ সালের ১৬ এপ্রিল বোম্বাই ও পার্শ্ববর্তী শহর থানের মধ্যে ভারতের প্রথম যাত্রীবাহী রেল পরিষেবা চালু হয়। আমেরিকার গৃহযুদ্ধের (১৮৬১-৬৫) সময় বোম্বাই বিশ্বের প্রধান কার্পাস বাণিজ্য বাজারে পরিণত হয়। এর ফলে শহরের ব্যাপক অর্থনৈতিক উন্নতি সাধিত হয় এবং তা শহরের গুরুত্বও বহুলাংশে বৃদ্ধি করে। ১৮৬৯ সালে সুয়েজ খাল উদ্বোধনের পর বোম্বাই আরব সাগরের বৃহত্তম সমুদ্রবন্দরে পরিণত হয়। ১৮৯৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে শহরে বিউবনিক প্লেগ মহামারীর প্রাদুর্ভাব ঘটলে প্রতি সপ্তাহে ১,৯০০ লোকের মৃত্যু হতে শুরু করে। এই সময় প্রায় ৮৫০,০০০ লোক বোম্বাই ছেড়ে পলায়ন করেন। এখানকার বস্ত্রবয়ন শিল্পও ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বোম্বাই প্রেসিডেন্সির রাজধানী হিসেবে এই শহর ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনের বিভিন্ন ঘটনার সাক্ষী। এগুলির মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য ১৯৪২ সালের ভারত ছাড়ো আন্দোলন এবং ১৯৪৬ সালের ভারতীয় নৌবিদ্রোহ। ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতা অর্জনের পর বোম্বাই প্রেসিডেন্সির অঞ্চলগুলি বোম্বাই রাজ্য নামে ভারতের অন্তর্গত হয়। একাধিক দেশীয় রাজ্যের অন্তর্ভুক্তির ফলে বোম্বাই রাজ্যের আয়তন বৃদ্ধি পায়। ১৯৫০ সালের এপ্রিল মাসে বোম্বাই উপনগর জেলা ও বোম্বাই নগরীকে একত্রিত করে বৃহত্তর বোম্বাই পৌরসংস্থা গঠিত হয়। বৃহত্তর বোম্বাই রাজস্ব জেলা ও বৃহত্তর বোম্বাই পৌরসংস্থার ভৌগোলিক সীমানা এই সময় একই ছিল। ১৯৯০ সালের ১ অক্টোবর বৃহত্তর বোম্বাই জেলা দ্বিধাখণ্ডিত করে মুম্বই জেলা ও মুম্বই উপনগর জেলা গঠিত হয়। যদিও এই দুই জেলা একই পৌরসংস্থার অধিভুক্ত। ১৯৫৫ সালের একটি লোকসভা আলোচনায় ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস মুম্বই শহরকে নিয়ে একটি স্বশাসিত নগররাজ্য স্থাপনের দাবি জানায়। ১৯৫৬ সালে রাজ্য পুনর্গঠন কমিশন বোম্বাই শহরকে রাজধানী করে দ্বিভাষিক মহারাষ্ট্র-গুজরাত রাজ্য গঠনের সুপারিশ করে। বোম্বাই সিটিজেনস কমিটি নামে নেতৃস্থানীয় গুজরাতি শিল্পপতিদের একটি সংস্থা বোম্বাইয়ের স্বশাসনের পক্ষে মতপ্রকাশ করে। ১৯৫৭ সালের নির্বাচনে সংযুক্ত মহারাষ্ট্র সমিতি এই সব প্রস্তাবের বিরোধিতা করে। তারা বোম্বাইকে মহারাষ্ট্রের রাজধানী ঘোষণা করার দাবি জানায়। এই নিয়ে আন্দোলন শুরু হয়। ফ্লোরা ফাউন্টেনে একটি প্রতিবাদ সমাবেশে পুলিশের গুলি চালনায় ১০৫ জনের মৃত্যু হয়। এরপর ১৯৬০ সালের ১ মে ভাষার ভিত্তিতে বোম্বাই রাজ্য দ্বিধাবিভক্ত হয়। বোম্বাই রাজ্যের গুজরাতি-ভাষী অঞ্চলগুলি নিয়ে গঠিত হয় গুজরাত রাজ্য। অবশিষ্ট বোম্বাই রাজ্যের মারাঠি-ভাষী অঞ্চল, মধ্য প্রদেশ ও বেরার রাজ্যের আটটি জেলা, হায়দরাবাদ রাজ্যের পাঁচটি জেলা এবং উভয় রাজ্যের মধ্যবর্তী অসংখ্য ছোটো ছোটো দেশীয় রাজ্য নিয়ে গঠিত হয় মহারাষ্ট্র রাজ্য। বোম্বাই এই রাজ্যের রাজধানী ঘোষিত হয়। সংযুক্ত মহারাষ্ট্র আন্দোলনের স্মরণে ফ্লোরা ফাউন্টেনের নামকরণ করা হয় হুতাত্মা চক (শহিদের চক); নির্মিত হয় একটি শহিদস্তম্ভও। পরবর্তী দশকগুলিতে বোম্বাই শহরের ব্যাপক উন্নতি সাধিত হয়। ১৯৬০-এর দশকের শেষ দিকে সমুদ্রোত্থিত ভূভাগ নরিমন পয়েন্ট ও কফ প্যারেডের বিকাশ ঘটানো হয়। ১৯৭৫ সালের ২৬ জানুয়ারি মহারাষ্ট্র সরকার বোম্বাই মহানগরীয় অঞ্চলের সুসংহত পরিকল্পনা ও উন্নয়নের লক্ষ্যে বোম্বাই মেট্রোপলিটান রিজিওন ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (বিএমআরডিএ) নামে একটি সর্বোচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৭৯ সালের অগস্ট মাসে সিটি অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন (সিআইডিসিও) থানে ও রায়গডের সীমানায় বোম্বাই শহরের জনসংখ্যার চাপ কমাতে নিউ বোম্বাই নামে একটি উপনগরী স্থাপন করে। বোম্বাই হারবারের চাপ কমাতে ১৯৮৯ সালের ২৬ মে নব সেবায় জওহরলাল নেহেরু বন্দর কমিশন করা হয়। মুম্বইয়ের কেন্দ্রীয় বন্দর হিসেবে ব্যবহৃত এই বন্দর বর্তমানে ভারতের কন্টেনারাইজড কার্গোর ৫৫-৬০ শতাংশ বহন করে থাকে। অতীতের বোম্বাই একটি শান্তিপূর্ণ শহর হলেও বিগত দুই বছরে শহরে সন্ত্রাসের ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। ১৯৯২-৯৩ সালে অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ধ্বংসের পর শহরে হিন্দু-মুসলমানের দাঙ্গা বাধে। এই দাঙ্গায় এক হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হন। ১৯৯৩ সালের ১২ মার্চ ইসলামি সন্ত্রাসবাদী ও বোম্বাই অন্ধকার জগতের যোগসাজেশে শহরের প্রধান প্রধান দর্শনীয় স্থানগুলিতে ১৩টি পরস্পর সম্পর্কযুক্ত বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এই বিস্ফোরণে ২৫৭ জন মারা যান এবং ৭০০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হন। ২০০৬ সালে শহরের যাত্রীবাহী ট্রেনগুলিতে সাতটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হলে ২০৯ জন মারা যান এবং ৭০০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হন। ২০০৮ সালে সশস্ত্র জঙ্গিদের দশটি পরস্পর সংযুক্ত হামলায় ১৭৩ জনের মৃত্যু হয়, ৩০৮ জন আহত হন, একাধিক ঐতিহাসিক স্থান ও গুরুত্বপূর্ণ হোটেল ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বর্তমানে মুম্বই ভারতের বাণিজ্যিক রাজধানী এবং বিশ্ব অর্থনীতির একটি অন্যতম প্রধান কেন্দ্র।
শেষ মারাঠা পেশোয়া এর নাম কি?
{ "text": [ "দ্বিতীয় বাজি রাওকে" ], "answer_start": [ 113 ] }
1546
null
১৮১৭ সালে মাউন্টস্টুয়ার্ট এলফিনস্টোনের নেতৃত্বে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি কিরকীর যুদ্ধে শেষ মারাঠা পেশোয়া দ্বিতীয় বাজি রাওকে পরাজিত করেন। এই পরাজয়ের সঙ্গে সঙ্গে সমগ্র দাক্ষিণাত্যে ব্রিটিশদের আধিপত্য স্থাপিত হয়। সমগ্র দক্ষিণ ভারত এরপর বোম্বাই প্রেসিডেন্সির অধিভুক্ত হয়েছিল। অন্যদিকে দাক্ষিণাত্যে ব্রিটিশদের সাফল্য বোম্বাইকে সকল প্রকার দেশীয় শক্তির আক্রমণের হাত থেকে মুক্তি দেয়। ১৮৪৫ সালের মধ্যে হর্নবি ভেলার্ড প্রকল্পের কল্যাণে বোম্বাইয়ের সাতটি দ্বীপ একক ভূখণ্ডে পরিণত হয়। ১৮৫৩ সালের ১৬ এপ্রিল বোম্বাই ও পার্শ্ববর্তী শহর থানের মধ্যে ভারতের প্রথম যাত্রীবাহী রেল পরিষেবা চালু হয়। আমেরিকার গৃহযুদ্ধের (১৮৬১-৬৫) সময় বোম্বাই বিশ্বের প্রধান কার্পাস বাণিজ্য বাজারে পরিণত হয়। এর ফলে শহরের ব্যাপক অর্থনৈতিক উন্নতি সাধিত হয় এবং তা শহরের গুরুত্বও বহুলাংশে বৃদ্ধি করে। ১৮৬৯ সালে সুয়েজ খাল উদ্বোধনের পর বোম্বাই আরব সাগরের বৃহত্তম সমুদ্রবন্দরে পরিণত হয়। ১৮৯৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে শহরে বিউবনিক প্লেগ মহামারীর প্রাদুর্ভাব ঘটলে প্রতি সপ্তাহে ১,৯০০ লোকের মৃত্যু হতে শুরু করে। এই সময় প্রায় ৮৫০,০০০ লোক বোম্বাই ছেড়ে পলায়ন করেন। এখানকার বস্ত্রবয়ন শিল্পও ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বোম্বাই প্রেসিডেন্সির রাজধানী হিসেবে এই শহর ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনের বিভিন্ন ঘটনার সাক্ষী। এগুলির মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য ১৯৪২ সালের ভারত ছাড়ো আন্দোলন এবং ১৯৪৬ সালের ভারতীয় নৌবিদ্রোহ। ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতা অর্জনের পর বোম্বাই প্রেসিডেন্সির অঞ্চলগুলি বোম্বাই রাজ্য নামে ভারতের অন্তর্গত হয়। একাধিক দেশীয় রাজ্যের অন্তর্ভুক্তির ফলে বোম্বাই রাজ্যের আয়তন বৃদ্ধি পায়। ১৯৫০ সালের এপ্রিল মাসে বোম্বাই উপনগর জেলা ও বোম্বাই নগরীকে একত্রিত করে বৃহত্তর বোম্বাই পৌরসংস্থা গঠিত হয়। বৃহত্তর বোম্বাই রাজস্ব জেলা ও বৃহত্তর বোম্বাই পৌরসংস্থার ভৌগোলিক সীমানা এই সময় একই ছিল। ১৯৯০ সালের ১ অক্টোবর বৃহত্তর বোম্বাই জেলা দ্বিধাখণ্ডিত করে মুম্বই জেলা ও মুম্বই উপনগর জেলা গঠিত হয়। যদিও এই দুই জেলা একই পৌরসংস্থার অধিভুক্ত। ১৯৫৫ সালের একটি লোকসভা আলোচনায় ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস মুম্বই শহরকে নিয়ে একটি স্বশাসিত নগররাজ্য স্থাপনের দাবি জানায়। ১৯৫৬ সালে রাজ্য পুনর্গঠন কমিশন বোম্বাই শহরকে রাজধানী করে দ্বিভাষিক মহারাষ্ট্র-গুজরাত রাজ্য গঠনের সুপারিশ করে। বোম্বাই সিটিজেনস কমিটি নামে নেতৃস্থানীয় গুজরাতি শিল্পপতিদের একটি সংস্থা বোম্বাইয়ের স্বশাসনের পক্ষে মতপ্রকাশ করে। ১৯৫৭ সালের নির্বাচনে সংযুক্ত মহারাষ্ট্র সমিতি এই সব প্রস্তাবের বিরোধিতা করে। তারা বোম্বাইকে মহারাষ্ট্রের রাজধানী ঘোষণা করার দাবি জানায়। এই নিয়ে আন্দোলন শুরু হয়। ফ্লোরা ফাউন্টেনে একটি প্রতিবাদ সমাবেশে পুলিশের গুলি চালনায় ১০৫ জনের মৃত্যু হয়। এরপর ১৯৬০ সালের ১ মে ভাষার ভিত্তিতে বোম্বাই রাজ্য দ্বিধাবিভক্ত হয়। বোম্বাই রাজ্যের গুজরাতি-ভাষী অঞ্চলগুলি নিয়ে গঠিত হয় গুজরাত রাজ্য। অবশিষ্ট বোম্বাই রাজ্যের মারাঠি-ভাষী অঞ্চল, মধ্য প্রদেশ ও বেরার রাজ্যের আটটি জেলা, হায়দরাবাদ রাজ্যের পাঁচটি জেলা এবং উভয় রাজ্যের মধ্যবর্তী অসংখ্য ছোটো ছোটো দেশীয় রাজ্য নিয়ে গঠিত হয় মহারাষ্ট্র রাজ্য। বোম্বাই এই রাজ্যের রাজধানী ঘোষিত হয়। সংযুক্ত মহারাষ্ট্র আন্দোলনের স্মরণে ফ্লোরা ফাউন্টেনের নামকরণ করা হয় হুতাত্মা চক (শহিদের চক); নির্মিত হয় একটি শহিদস্তম্ভও। পরবর্তী দশকগুলিতে বোম্বাই শহরের ব্যাপক উন্নতি সাধিত হয়। ১৯৬০-এর দশকের শেষ দিকে সমুদ্রোত্থিত ভূভাগ নরিমন পয়েন্ট ও কফ প্যারেডের বিকাশ ঘটানো হয়। ১৯৭৫ সালের ২৬ জানুয়ারি মহারাষ্ট্র সরকার বোম্বাই মহানগরীয় অঞ্চলের সুসংহত পরিকল্পনা ও উন্নয়নের লক্ষ্যে বোম্বাই মেট্রোপলিটান রিজিওন ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (বিএমআরডিএ) নামে একটি সর্বোচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৭৯ সালের অগস্ট মাসে সিটি অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন (সিআইডিসিও) থানে ও রায়গডের সীমানায় বোম্বাই শহরের জনসংখ্যার চাপ কমাতে নিউ বোম্বাই নামে একটি উপনগরী স্থাপন করে। বোম্বাই হারবারের চাপ কমাতে ১৯৮৯ সালের ২৬ মে নব সেবায় জওহরলাল নেহেরু বন্দর কমিশন করা হয়। মুম্বইয়ের কেন্দ্রীয় বন্দর হিসেবে ব্যবহৃত এই বন্দর বর্তমানে ভারতের কন্টেনারাইজড কার্গোর ৫৫-৬০ শতাংশ বহন করে থাকে। অতীতের বোম্বাই একটি শান্তিপূর্ণ শহর হলেও বিগত দুই বছরে শহরে সন্ত্রাসের ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। ১৯৯২-৯৩ সালে অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ধ্বংসের পর শহরে হিন্দু-মুসলমানের দাঙ্গা বাধে। এই দাঙ্গায় এক হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হন। ১৯৯৩ সালের ১২ মার্চ ইসলামি সন্ত্রাসবাদী ও বোম্বাই অন্ধকার জগতের যোগসাজেশে শহরের প্রধান প্রধান দর্শনীয় স্থানগুলিতে ১৩টি পরস্পর সম্পর্কযুক্ত বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এই বিস্ফোরণে ২৫৭ জন মারা যান এবং ৭০০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হন। ২০০৬ সালে শহরের যাত্রীবাহী ট্রেনগুলিতে সাতটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হলে ২০৯ জন মারা যান এবং ৭০০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হন। ২০০৮ সালে সশস্ত্র জঙ্গিদের দশটি পরস্পর সংযুক্ত হামলায় ১৭৩ জনের মৃত্যু হয়, ৩০৮ জন আহত হন, একাধিক ঐতিহাসিক স্থান ও গুরুত্বপূর্ণ হোটেল ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বর্তমানে মুম্বই ভারতের বাণিজ্যিক রাজধানী এবং বিশ্ব অর্থনীতির একটি অন্যতম প্রধান কেন্দ্র।
ভারতে প্রথম যাত্রীবাহী ট্রেন পরিষেবা কোন সালে চালু হয় ?
{ "text": [ "১৮৫৩" ], "answer_start": [ 482 ] }
1547
null
১৮১৭ সালে মাউন্টস্টুয়ার্ট এলফিনস্টোনের নেতৃত্বে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি কিরকীর যুদ্ধে শেষ মারাঠা পেশোয়া দ্বিতীয় বাজি রাওকে পরাজিত করেন। এই পরাজয়ের সঙ্গে সঙ্গে সমগ্র দাক্ষিণাত্যে ব্রিটিশদের আধিপত্য স্থাপিত হয়। সমগ্র দক্ষিণ ভারত এরপর বোম্বাই প্রেসিডেন্সির অধিভুক্ত হয়েছিল। অন্যদিকে দাক্ষিণাত্যে ব্রিটিশদের সাফল্য বোম্বাইকে সকল প্রকার দেশীয় শক্তির আক্রমণের হাত থেকে মুক্তি দেয়। ১৮৪৫ সালের মধ্যে হর্নবি ভেলার্ড প্রকল্পের কল্যাণে বোম্বাইয়ের সাতটি দ্বীপ একক ভূখণ্ডে পরিণত হয়। ১৮৫৩ সালের ১৬ এপ্রিল বোম্বাই ও পার্শ্ববর্তী শহর থানের মধ্যে ভারতের প্রথম যাত্রীবাহী রেল পরিষেবা চালু হয়। আমেরিকার গৃহযুদ্ধের (১৮৬১-৬৫) সময় বোম্বাই বিশ্বের প্রধান কার্পাস বাণিজ্য বাজারে পরিণত হয়। এর ফলে শহরের ব্যাপক অর্থনৈতিক উন্নতি সাধিত হয় এবং তা শহরের গুরুত্বও বহুলাংশে বৃদ্ধি করে। ১৮৬৯ সালে সুয়েজ খাল উদ্বোধনের পর বোম্বাই আরব সাগরের বৃহত্তম সমুদ্রবন্দরে পরিণত হয়। ১৮৯৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে শহরে বিউবনিক প্লেগ মহামারীর প্রাদুর্ভাব ঘটলে প্রতি সপ্তাহে ১,৯০০ লোকের মৃত্যু হতে শুরু করে। এই সময় প্রায় ৮৫০,০০০ লোক বোম্বাই ছেড়ে পলায়ন করেন। এখানকার বস্ত্রবয়ন শিল্পও ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বোম্বাই প্রেসিডেন্সির রাজধানী হিসেবে এই শহর ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনের বিভিন্ন ঘটনার সাক্ষী। এগুলির মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য ১৯৪২ সালের ভারত ছাড়ো আন্দোলন এবং ১৯৪৬ সালের ভারতীয় নৌবিদ্রোহ। ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতা অর্জনের পর বোম্বাই প্রেসিডেন্সির অঞ্চলগুলি বোম্বাই রাজ্য নামে ভারতের অন্তর্গত হয়। একাধিক দেশীয় রাজ্যের অন্তর্ভুক্তির ফলে বোম্বাই রাজ্যের আয়তন বৃদ্ধি পায়। ১৯৫০ সালের এপ্রিল মাসে বোম্বাই উপনগর জেলা ও বোম্বাই নগরীকে একত্রিত করে বৃহত্তর বোম্বাই পৌরসংস্থা গঠিত হয়। বৃহত্তর বোম্বাই রাজস্ব জেলা ও বৃহত্তর বোম্বাই পৌরসংস্থার ভৌগোলিক সীমানা এই সময় একই ছিল। ১৯৯০ সালের ১ অক্টোবর বৃহত্তর বোম্বাই জেলা দ্বিধাখণ্ডিত করে মুম্বই জেলা ও মুম্বই উপনগর জেলা গঠিত হয়। যদিও এই দুই জেলা একই পৌরসংস্থার অধিভুক্ত। ১৯৫৫ সালের একটি লোকসভা আলোচনায় ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস মুম্বই শহরকে নিয়ে একটি স্বশাসিত নগররাজ্য স্থাপনের দাবি জানায়। ১৯৫৬ সালে রাজ্য পুনর্গঠন কমিশন বোম্বাই শহরকে রাজধানী করে দ্বিভাষিক মহারাষ্ট্র-গুজরাত রাজ্য গঠনের সুপারিশ করে। বোম্বাই সিটিজেনস কমিটি নামে নেতৃস্থানীয় গুজরাতি শিল্পপতিদের একটি সংস্থা বোম্বাইয়ের স্বশাসনের পক্ষে মতপ্রকাশ করে। ১৯৫৭ সালের নির্বাচনে সংযুক্ত মহারাষ্ট্র সমিতি এই সব প্রস্তাবের বিরোধিতা করে। তারা বোম্বাইকে মহারাষ্ট্রের রাজধানী ঘোষণা করার দাবি জানায়। এই নিয়ে আন্দোলন শুরু হয়। ফ্লোরা ফাউন্টেনে একটি প্রতিবাদ সমাবেশে পুলিশের গুলি চালনায় ১০৫ জনের মৃত্যু হয়। এরপর ১৯৬০ সালের ১ মে ভাষার ভিত্তিতে বোম্বাই রাজ্য দ্বিধাবিভক্ত হয়। বোম্বাই রাজ্যের গুজরাতি-ভাষী অঞ্চলগুলি নিয়ে গঠিত হয় গুজরাত রাজ্য। অবশিষ্ট বোম্বাই রাজ্যের মারাঠি-ভাষী অঞ্চল, মধ্য প্রদেশ ও বেরার রাজ্যের আটটি জেলা, হায়দরাবাদ রাজ্যের পাঁচটি জেলা এবং উভয় রাজ্যের মধ্যবর্তী অসংখ্য ছোটো ছোটো দেশীয় রাজ্য নিয়ে গঠিত হয় মহারাষ্ট্র রাজ্য। বোম্বাই এই রাজ্যের রাজধানী ঘোষিত হয়। সংযুক্ত মহারাষ্ট্র আন্দোলনের স্মরণে ফ্লোরা ফাউন্টেনের নামকরণ করা হয় হুতাত্মা চক (শহিদের চক); নির্মিত হয় একটি শহিদস্তম্ভও। পরবর্তী দশকগুলিতে বোম্বাই শহরের ব্যাপক উন্নতি সাধিত হয়। ১৯৬০-এর দশকের শেষ দিকে সমুদ্রোত্থিত ভূভাগ নরিমন পয়েন্ট ও কফ প্যারেডের বিকাশ ঘটানো হয়। ১৯৭৫ সালের ২৬ জানুয়ারি মহারাষ্ট্র সরকার বোম্বাই মহানগরীয় অঞ্চলের সুসংহত পরিকল্পনা ও উন্নয়নের লক্ষ্যে বোম্বাই মেট্রোপলিটান রিজিওন ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (বিএমআরডিএ) নামে একটি সর্বোচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৭৯ সালের অগস্ট মাসে সিটি অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন (সিআইডিসিও) থানে ও রায়গডের সীমানায় বোম্বাই শহরের জনসংখ্যার চাপ কমাতে নিউ বোম্বাই নামে একটি উপনগরী স্থাপন করে। বোম্বাই হারবারের চাপ কমাতে ১৯৮৯ সালের ২৬ মে নব সেবায় জওহরলাল নেহেরু বন্দর কমিশন করা হয়। মুম্বইয়ের কেন্দ্রীয় বন্দর হিসেবে ব্যবহৃত এই বন্দর বর্তমানে ভারতের কন্টেনারাইজড কার্গোর ৫৫-৬০ শতাংশ বহন করে থাকে। অতীতের বোম্বাই একটি শান্তিপূর্ণ শহর হলেও বিগত দুই বছরে শহরে সন্ত্রাসের ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। ১৯৯২-৯৩ সালে অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ধ্বংসের পর শহরে হিন্দু-মুসলমানের দাঙ্গা বাধে। এই দাঙ্গায় এক হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হন। ১৯৯৩ সালের ১২ মার্চ ইসলামি সন্ত্রাসবাদী ও বোম্বাই অন্ধকার জগতের যোগসাজেশে শহরের প্রধান প্রধান দর্শনীয় স্থানগুলিতে ১৩টি পরস্পর সম্পর্কযুক্ত বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এই বিস্ফোরণে ২৫৭ জন মারা যান এবং ৭০০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হন। ২০০৬ সালে শহরের যাত্রীবাহী ট্রেনগুলিতে সাতটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হলে ২০৯ জন মারা যান এবং ৭০০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হন। ২০০৮ সালে সশস্ত্র জঙ্গিদের দশটি পরস্পর সংযুক্ত হামলায় ১৭৩ জনের মৃত্যু হয়, ৩০৮ জন আহত হন, একাধিক ঐতিহাসিক স্থান ও গুরুত্বপূর্ণ হোটেল ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বর্তমানে মুম্বই ভারতের বাণিজ্যিক রাজধানী এবং বিশ্ব অর্থনীতির একটি অন্যতম প্রধান কেন্দ্র।
কোন শহরটি দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম শহর হয়ে উঠেছে?
{ "text": [ "" ], "answer_start": [ null ] }
1548
null
১৮১৭ সালে মাউন্টস্টুয়ার্ট এলফিনস্টোনের নেতৃত্বে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি কিরকীর যুদ্ধে শেষ মারাঠা পেশোয়া দ্বিতীয় বাজি রাওকে পরাজিত করেন। এই পরাজয়ের সঙ্গে সঙ্গে সমগ্র দাক্ষিণাত্যে ব্রিটিশদের আধিপত্য স্থাপিত হয়। সমগ্র দক্ষিণ ভারত এরপর বোম্বাই প্রেসিডেন্সির অধিভুক্ত হয়েছিল। অন্যদিকে দাক্ষিণাত্যে ব্রিটিশদের সাফল্য বোম্বাইকে সকল প্রকার দেশীয় শক্তির আক্রমণের হাত থেকে মুক্তি দেয়। ১৮৪৫ সালের মধ্যে হর্নবি ভেলার্ড প্রকল্পের কল্যাণে বোম্বাইয়ের সাতটি দ্বীপ একক ভূখণ্ডে পরিণত হয়। ১৮৫৩ সালের ১৬ এপ্রিল বোম্বাই ও পার্শ্ববর্তী শহর থানের মধ্যে ভারতের প্রথম যাত্রীবাহী রেল পরিষেবা চালু হয়। আমেরিকার গৃহযুদ্ধের (১৮৬১-৬৫) সময় বোম্বাই বিশ্বের প্রধান কার্পাস বাণিজ্য বাজারে পরিণত হয়। এর ফলে শহরের ব্যাপক অর্থনৈতিক উন্নতি সাধিত হয় এবং তা শহরের গুরুত্বও বহুলাংশে বৃদ্ধি করে। ১৮৬৯ সালে সুয়েজ খাল উদ্বোধনের পর বোম্বাই আরব সাগরের বৃহত্তম সমুদ্রবন্দরে পরিণত হয়। ১৮৯৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে শহরে বিউবনিক প্লেগ মহামারীর প্রাদুর্ভাব ঘটলে প্রতি সপ্তাহে ১,৯০০ লোকের মৃত্যু হতে শুরু করে। এই সময় প্রায় ৮৫০,০০০ লোক বোম্বাই ছেড়ে পলায়ন করেন। এখানকার বস্ত্রবয়ন শিল্পও ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বোম্বাই প্রেসিডেন্সির রাজধানী হিসেবে এই শহর ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনের বিভিন্ন ঘটনার সাক্ষী। এগুলির মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য ১৯৪২ সালের ভারত ছাড়ো আন্দোলন এবং ১৯৪৬ সালের ভারতীয় নৌবিদ্রোহ। ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতা অর্জনের পর বোম্বাই প্রেসিডেন্সির অঞ্চলগুলি বোম্বাই রাজ্য নামে ভারতের অন্তর্গত হয়। একাধিক দেশীয় রাজ্যের অন্তর্ভুক্তির ফলে বোম্বাই রাজ্যের আয়তন বৃদ্ধি পায়। ১৯৫০ সালের এপ্রিল মাসে বোম্বাই উপনগর জেলা ও বোম্বাই নগরীকে একত্রিত করে বৃহত্তর বোম্বাই পৌরসংস্থা গঠিত হয়। বৃহত্তর বোম্বাই রাজস্ব জেলা ও বৃহত্তর বোম্বাই পৌরসংস্থার ভৌগোলিক সীমানা এই সময় একই ছিল। ১৯৯০ সালের ১ অক্টোবর বৃহত্তর বোম্বাই জেলা দ্বিধাখণ্ডিত করে মুম্বই জেলা ও মুম্বই উপনগর জেলা গঠিত হয়। যদিও এই দুই জেলা একই পৌরসংস্থার অধিভুক্ত। ১৯৫৫ সালের একটি লোকসভা আলোচনায় ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস মুম্বই শহরকে নিয়ে একটি স্বশাসিত নগররাজ্য স্থাপনের দাবি জানায়। ১৯৫৬ সালে রাজ্য পুনর্গঠন কমিশন বোম্বাই শহরকে রাজধানী করে দ্বিভাষিক মহারাষ্ট্র-গুজরাত রাজ্য গঠনের সুপারিশ করে। বোম্বাই সিটিজেনস কমিটি নামে নেতৃস্থানীয় গুজরাতি শিল্পপতিদের একটি সংস্থা বোম্বাইয়ের স্বশাসনের পক্ষে মতপ্রকাশ করে। ১৯৫৭ সালের নির্বাচনে সংযুক্ত মহারাষ্ট্র সমিতি এই সব প্রস্তাবের বিরোধিতা করে। তারা বোম্বাইকে মহারাষ্ট্রের রাজধানী ঘোষণা করার দাবি জানায়। এই নিয়ে আন্দোলন শুরু হয়। ফ্লোরা ফাউন্টেনে একটি প্রতিবাদ সমাবেশে পুলিশের গুলি চালনায় ১০৫ জনের মৃত্যু হয়। এরপর ১৯৬০ সালের ১ মে ভাষার ভিত্তিতে বোম্বাই রাজ্য দ্বিধাবিভক্ত হয়। বোম্বাই রাজ্যের গুজরাতি-ভাষী অঞ্চলগুলি নিয়ে গঠিত হয় গুজরাত রাজ্য। অবশিষ্ট বোম্বাই রাজ্যের মারাঠি-ভাষী অঞ্চল, মধ্য প্রদেশ ও বেরার রাজ্যের আটটি জেলা, হায়দরাবাদ রাজ্যের পাঁচটি জেলা এবং উভয় রাজ্যের মধ্যবর্তী অসংখ্য ছোটো ছোটো দেশীয় রাজ্য নিয়ে গঠিত হয় মহারাষ্ট্র রাজ্য। বোম্বাই এই রাজ্যের রাজধানী ঘোষিত হয়। সংযুক্ত মহারাষ্ট্র আন্দোলনের স্মরণে ফ্লোরা ফাউন্টেনের নামকরণ করা হয় হুতাত্মা চক (শহিদের চক); নির্মিত হয় একটি শহিদস্তম্ভও। পরবর্তী দশকগুলিতে বোম্বাই শহরের ব্যাপক উন্নতি সাধিত হয়। ১৯৬০-এর দশকের শেষ দিকে সমুদ্রোত্থিত ভূভাগ নরিমন পয়েন্ট ও কফ প্যারেডের বিকাশ ঘটানো হয়। ১৯৭৫ সালের ২৬ জানুয়ারি মহারাষ্ট্র সরকার বোম্বাই মহানগরীয় অঞ্চলের সুসংহত পরিকল্পনা ও উন্নয়নের লক্ষ্যে বোম্বাই মেট্রোপলিটান রিজিওন ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (বিএমআরডিএ) নামে একটি সর্বোচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৭৯ সালের অগস্ট মাসে সিটি অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন (সিআইডিসিও) থানে ও রায়গডের সীমানায় বোম্বাই শহরের জনসংখ্যার চাপ কমাতে নিউ বোম্বাই নামে একটি উপনগরী স্থাপন করে। বোম্বাই হারবারের চাপ কমাতে ১৯৮৯ সালের ২৬ মে নব সেবায় জওহরলাল নেহেরু বন্দর কমিশন করা হয়। মুম্বইয়ের কেন্দ্রীয় বন্দর হিসেবে ব্যবহৃত এই বন্দর বর্তমানে ভারতের কন্টেনারাইজড কার্গোর ৫৫-৬০ শতাংশ বহন করে থাকে। অতীতের বোম্বাই একটি শান্তিপূর্ণ শহর হলেও বিগত দুই বছরে শহরে সন্ত্রাসের ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। ১৯৯২-৯৩ সালে অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ধ্বংসের পর শহরে হিন্দু-মুসলমানের দাঙ্গা বাধে। এই দাঙ্গায় এক হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হন। ১৯৯৩ সালের ১২ মার্চ ইসলামি সন্ত্রাসবাদী ও বোম্বাই অন্ধকার জগতের যোগসাজেশে শহরের প্রধান প্রধান দর্শনীয় স্থানগুলিতে ১৩টি পরস্পর সম্পর্কযুক্ত বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এই বিস্ফোরণে ২৫৭ জন মারা যান এবং ৭০০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হন। ২০০৬ সালে শহরের যাত্রীবাহী ট্রেনগুলিতে সাতটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হলে ২০৯ জন মারা যান এবং ৭০০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হন। ২০০৮ সালে সশস্ত্র জঙ্গিদের দশটি পরস্পর সংযুক্ত হামলায় ১৭৩ জনের মৃত্যু হয়, ৩০৮ জন আহত হন, একাধিক ঐতিহাসিক স্থান ও গুরুত্বপূর্ণ হোটেল ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বর্তমানে মুম্বই ভারতের বাণিজ্যিক রাজধানী এবং বিশ্ব অর্থনীতির একটি অন্যতম প্রধান কেন্দ্র।
কোন সালে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি দ্বিতীয় বাজিরাওকে পরাজিত করে ?
{ "text": [ "১৮১৭" ], "answer_start": [ 0 ] }
1549
null
১৮১৭ সালে মাউন্টস্টুয়ার্ট এলফিনস্টোনের নেতৃত্বে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি কিরকীর যুদ্ধে শেষ মারাঠা পেশোয়া দ্বিতীয় বাজি রাওকে পরাজিত করেন। এই পরাজয়ের সঙ্গে সঙ্গে সমগ্র দাক্ষিণাত্যে ব্রিটিশদের আধিপত্য স্থাপিত হয়। সমগ্র দক্ষিণ ভারত এরপর বোম্বাই প্রেসিডেন্সির অধিভুক্ত হয়েছিল। অন্যদিকে দাক্ষিণাত্যে ব্রিটিশদের সাফল্য বোম্বাইকে সকল প্রকার দেশীয় শক্তির আক্রমণের হাত থেকে মুক্তি দেয়। ১৮৪৫ সালের মধ্যে হর্নবি ভেলার্ড প্রকল্পের কল্যাণে বোম্বাইয়ের সাতটি দ্বীপ একক ভূখণ্ডে পরিণত হয়। ১৮৫৩ সালের ১৬ এপ্রিল বোম্বাই ও পার্শ্ববর্তী শহর থানের মধ্যে ভারতের প্রথম যাত্রীবাহী রেল পরিষেবা চালু হয়। আমেরিকার গৃহযুদ্ধের (১৮৬১-৬৫) সময় বোম্বাই বিশ্বের প্রধান কার্পাস বাণিজ্য বাজারে পরিণত হয়। এর ফলে শহরের ব্যাপক অর্থনৈতিক উন্নতি সাধিত হয় এবং তা শহরের গুরুত্বও বহুলাংশে বৃদ্ধি করে। ১৮৬৯ সালে সুয়েজ খাল উদ্বোধনের পর বোম্বাই আরব সাগরের বৃহত্তম সমুদ্রবন্দরে পরিণত হয়। ১৮৯৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে শহরে বিউবনিক প্লেগ মহামারীর প্রাদুর্ভাব ঘটলে প্রতি সপ্তাহে ১,৯০০ লোকের মৃত্যু হতে শুরু করে। এই সময় প্রায় ৮৫০,০০০ লোক বোম্বাই ছেড়ে পলায়ন করেন। এখানকার বস্ত্রবয়ন শিল্পও ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বোম্বাই প্রেসিডেন্সির রাজধানী হিসেবে এই শহর ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনের বিভিন্ন ঘটনার সাক্ষী। এগুলির মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য ১৯৪২ সালের ভারত ছাড়ো আন্দোলন এবং ১৯৪৬ সালের ভারতীয় নৌবিদ্রোহ। ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতা অর্জনের পর বোম্বাই প্রেসিডেন্সির অঞ্চলগুলি বোম্বাই রাজ্য নামে ভারতের অন্তর্গত হয়। একাধিক দেশীয় রাজ্যের অন্তর্ভুক্তির ফলে বোম্বাই রাজ্যের আয়তন বৃদ্ধি পায়। ১৯৫০ সালের এপ্রিল মাসে বোম্বাই উপনগর জেলা ও বোম্বাই নগরীকে একত্রিত করে বৃহত্তর বোম্বাই পৌরসংস্থা গঠিত হয়। বৃহত্তর বোম্বাই রাজস্ব জেলা ও বৃহত্তর বোম্বাই পৌরসংস্থার ভৌগোলিক সীমানা এই সময় একই ছিল। ১৯৯০ সালের ১ অক্টোবর বৃহত্তর বোম্বাই জেলা দ্বিধাখণ্ডিত করে মুম্বই জেলা ও মুম্বই উপনগর জেলা গঠিত হয়। যদিও এই দুই জেলা একই পৌরসংস্থার অধিভুক্ত। ১৯৫৫ সালের একটি লোকসভা আলোচনায় ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস মুম্বই শহরকে নিয়ে একটি স্বশাসিত নগররাজ্য স্থাপনের দাবি জানায়। ১৯৫৬ সালে রাজ্য পুনর্গঠন কমিশন বোম্বাই শহরকে রাজধানী করে দ্বিভাষিক মহারাষ্ট্র-গুজরাত রাজ্য গঠনের সুপারিশ করে। বোম্বাই সিটিজেনস কমিটি নামে নেতৃস্থানীয় গুজরাতি শিল্পপতিদের একটি সংস্থা বোম্বাইয়ের স্বশাসনের পক্ষে মতপ্রকাশ করে। ১৯৫৭ সালের নির্বাচনে সংযুক্ত মহারাষ্ট্র সমিতি এই সব প্রস্তাবের বিরোধিতা করে। তারা বোম্বাইকে মহারাষ্ট্রের রাজধানী ঘোষণা করার দাবি জানায়। এই নিয়ে আন্দোলন শুরু হয়। ফ্লোরা ফাউন্টেনে একটি প্রতিবাদ সমাবেশে পুলিশের গুলি চালনায় ১০৫ জনের মৃত্যু হয়। এরপর ১৯৬০ সালের ১ মে ভাষার ভিত্তিতে বোম্বাই রাজ্য দ্বিধাবিভক্ত হয়। বোম্বাই রাজ্যের গুজরাতি-ভাষী অঞ্চলগুলি নিয়ে গঠিত হয় গুজরাত রাজ্য। অবশিষ্ট বোম্বাই রাজ্যের মারাঠি-ভাষী অঞ্চল, মধ্য প্রদেশ ও বেরার রাজ্যের আটটি জেলা, হায়দরাবাদ রাজ্যের পাঁচটি জেলা এবং উভয় রাজ্যের মধ্যবর্তী অসংখ্য ছোটো ছোটো দেশীয় রাজ্য নিয়ে গঠিত হয় মহারাষ্ট্র রাজ্য। বোম্বাই এই রাজ্যের রাজধানী ঘোষিত হয়। সংযুক্ত মহারাষ্ট্র আন্দোলনের স্মরণে ফ্লোরা ফাউন্টেনের নামকরণ করা হয় হুতাত্মা চক (শহিদের চক); নির্মিত হয় একটি শহিদস্তম্ভও। পরবর্তী দশকগুলিতে বোম্বাই শহরের ব্যাপক উন্নতি সাধিত হয়। ১৯৬০-এর দশকের শেষ দিকে সমুদ্রোত্থিত ভূভাগ নরিমন পয়েন্ট ও কফ প্যারেডের বিকাশ ঘটানো হয়। ১৯৭৫ সালের ২৬ জানুয়ারি মহারাষ্ট্র সরকার বোম্বাই মহানগরীয় অঞ্চলের সুসংহত পরিকল্পনা ও উন্নয়নের লক্ষ্যে বোম্বাই মেট্রোপলিটান রিজিওন ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (বিএমআরডিএ) নামে একটি সর্বোচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৭৯ সালের অগস্ট মাসে সিটি অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন (সিআইডিসিও) থানে ও রায়গডের সীমানায় বোম্বাই শহরের জনসংখ্যার চাপ কমাতে নিউ বোম্বাই নামে একটি উপনগরী স্থাপন করে। বোম্বাই হারবারের চাপ কমাতে ১৯৮৯ সালের ২৬ মে নব সেবায় জওহরলাল নেহেরু বন্দর কমিশন করা হয়। মুম্বইয়ের কেন্দ্রীয় বন্দর হিসেবে ব্যবহৃত এই বন্দর বর্তমানে ভারতের কন্টেনারাইজড কার্গোর ৫৫-৬০ শতাংশ বহন করে থাকে। অতীতের বোম্বাই একটি শান্তিপূর্ণ শহর হলেও বিগত দুই বছরে শহরে সন্ত্রাসের ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। ১৯৯২-৯৩ সালে অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ধ্বংসের পর শহরে হিন্দু-মুসলমানের দাঙ্গা বাধে। এই দাঙ্গায় এক হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হন। ১৯৯৩ সালের ১২ মার্চ ইসলামি সন্ত্রাসবাদী ও বোম্বাই অন্ধকার জগতের যোগসাজেশে শহরের প্রধান প্রধান দর্শনীয় স্থানগুলিতে ১৩টি পরস্পর সম্পর্কযুক্ত বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এই বিস্ফোরণে ২৫৭ জন মারা যান এবং ৭০০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হন। ২০০৬ সালে শহরের যাত্রীবাহী ট্রেনগুলিতে সাতটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হলে ২০৯ জন মারা যান এবং ৭০০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হন। ২০০৮ সালে সশস্ত্র জঙ্গিদের দশটি পরস্পর সংযুক্ত হামলায় ১৭৩ জনের মৃত্যু হয়, ৩০৮ জন আহত হন, একাধিক ঐতিহাসিক স্থান ও গুরুত্বপূর্ণ হোটেল ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বর্তমানে মুম্বই ভারতের বাণিজ্যিক রাজধানী এবং বিশ্ব অর্থনীতির একটি অন্যতম প্রধান কেন্দ্র।
মুম্বাই শহর কিসের জন্য সারা পৃথিবীতে খ্যাতি লাভ করেছে?
{ "text": [ "" ], "answer_start": [ null ] }
1550
null
১৮১৭ সালে মাউন্টস্টুয়ার্ট এলফিনস্টোনের নেতৃত্বে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি কিরকীর যুদ্ধে শেষ মারাঠা পেশোয়া দ্বিতীয় বাজি রাওকে পরাজিত করেন। এই পরাজয়ের সঙ্গে সঙ্গে সমগ্র দাক্ষিণাত্যে ব্রিটিশদের আধিপত্য স্থাপিত হয়। সমগ্র দক্ষিণ ভারত এরপর বোম্বাই প্রেসিডেন্সির অধিভুক্ত হয়েছিল। অন্যদিকে দাক্ষিণাত্যে ব্রিটিশদের সাফল্য বোম্বাইকে সকল প্রকার দেশীয় শক্তির আক্রমণের হাত থেকে মুক্তি দেয়। ১৮৪৫ সালের মধ্যে হর্নবি ভেলার্ড প্রকল্পের কল্যাণে বোম্বাইয়ের সাতটি দ্বীপ একক ভূখণ্ডে পরিণত হয়। ১৮৫৩ সালের ১৬ এপ্রিল বোম্বাই ও পার্শ্ববর্তী শহর থানের মধ্যে ভারতের প্রথম যাত্রীবাহী রেল পরিষেবা চালু হয়। আমেরিকার গৃহযুদ্ধের (১৮৬১-৬৫) সময় বোম্বাই বিশ্বের প্রধান কার্পাস বাণিজ্য বাজারে পরিণত হয়। এর ফলে শহরের ব্যাপক অর্থনৈতিক উন্নতি সাধিত হয় এবং তা শহরের গুরুত্বও বহুলাংশে বৃদ্ধি করে। ১৮৬৯ সালে সুয়েজ খাল উদ্বোধনের পর বোম্বাই আরব সাগরের বৃহত্তম সমুদ্রবন্দরে পরিণত হয়। ১৮৯৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে শহরে বিউবনিক প্লেগ মহামারীর প্রাদুর্ভাব ঘটলে প্রতি সপ্তাহে ১,৯০০ লোকের মৃত্যু হতে শুরু করে। এই সময় প্রায় ৮৫০,০০০ লোক বোম্বাই ছেড়ে পলায়ন করেন। এখানকার বস্ত্রবয়ন শিল্পও ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বোম্বাই প্রেসিডেন্সির রাজধানী হিসেবে এই শহর ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনের বিভিন্ন ঘটনার সাক্ষী। এগুলির মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য ১৯৪২ সালের ভারত ছাড়ো আন্দোলন এবং ১৯৪৬ সালের ভারতীয় নৌবিদ্রোহ। ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতা অর্জনের পর বোম্বাই প্রেসিডেন্সির অঞ্চলগুলি বোম্বাই রাজ্য নামে ভারতের অন্তর্গত হয়। একাধিক দেশীয় রাজ্যের অন্তর্ভুক্তির ফলে বোম্বাই রাজ্যের আয়তন বৃদ্ধি পায়। ১৯৫০ সালের এপ্রিল মাসে বোম্বাই উপনগর জেলা ও বোম্বাই নগরীকে একত্রিত করে বৃহত্তর বোম্বাই পৌরসংস্থা গঠিত হয়। বৃহত্তর বোম্বাই রাজস্ব জেলা ও বৃহত্তর বোম্বাই পৌরসংস্থার ভৌগোলিক সীমানা এই সময় একই ছিল। ১৯৯০ সালের ১ অক্টোবর বৃহত্তর বোম্বাই জেলা দ্বিধাখণ্ডিত করে মুম্বই জেলা ও মুম্বই উপনগর জেলা গঠিত হয়। যদিও এই দুই জেলা একই পৌরসংস্থার অধিভুক্ত। ১৯৫৫ সালের একটি লোকসভা আলোচনায় ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস মুম্বই শহরকে নিয়ে একটি স্বশাসিত নগররাজ্য স্থাপনের দাবি জানায়। ১৯৫৬ সালে রাজ্য পুনর্গঠন কমিশন বোম্বাই শহরকে রাজধানী করে দ্বিভাষিক মহারাষ্ট্র-গুজরাত রাজ্য গঠনের সুপারিশ করে। বোম্বাই সিটিজেনস কমিটি নামে নেতৃস্থানীয় গুজরাতি শিল্পপতিদের একটি সংস্থা বোম্বাইয়ের স্বশাসনের পক্ষে মতপ্রকাশ করে। ১৯৫৭ সালের নির্বাচনে সংযুক্ত মহারাষ্ট্র সমিতি এই সব প্রস্তাবের বিরোধিতা করে। তারা বোম্বাইকে মহারাষ্ট্রের রাজধানী ঘোষণা করার দাবি জানায়। এই নিয়ে আন্দোলন শুরু হয়। ফ্লোরা ফাউন্টেনে একটি প্রতিবাদ সমাবেশে পুলিশের গুলি চালনায় ১০৫ জনের মৃত্যু হয়। এরপর ১৯৬০ সালের ১ মে ভাষার ভিত্তিতে বোম্বাই রাজ্য দ্বিধাবিভক্ত হয়। বোম্বাই রাজ্যের গুজরাতি-ভাষী অঞ্চলগুলি নিয়ে গঠিত হয় গুজরাত রাজ্য। অবশিষ্ট বোম্বাই রাজ্যের মারাঠি-ভাষী অঞ্চল, মধ্য প্রদেশ ও বেরার রাজ্যের আটটি জেলা, হায়দরাবাদ রাজ্যের পাঁচটি জেলা এবং উভয় রাজ্যের মধ্যবর্তী অসংখ্য ছোটো ছোটো দেশীয় রাজ্য নিয়ে গঠিত হয় মহারাষ্ট্র রাজ্য। বোম্বাই এই রাজ্যের রাজধানী ঘোষিত হয়। সংযুক্ত মহারাষ্ট্র আন্দোলনের স্মরণে ফ্লোরা ফাউন্টেনের নামকরণ করা হয় হুতাত্মা চক (শহিদের চক); নির্মিত হয় একটি শহিদস্তম্ভও। পরবর্তী দশকগুলিতে বোম্বাই শহরের ব্যাপক উন্নতি সাধিত হয়। ১৯৬০-এর দশকের শেষ দিকে সমুদ্রোত্থিত ভূভাগ নরিমন পয়েন্ট ও কফ প্যারেডের বিকাশ ঘটানো হয়। ১৯৭৫ সালের ২৬ জানুয়ারি মহারাষ্ট্র সরকার বোম্বাই মহানগরীয় অঞ্চলের সুসংহত পরিকল্পনা ও উন্নয়নের লক্ষ্যে বোম্বাই মেট্রোপলিটান রিজিওন ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (বিএমআরডিএ) নামে একটি সর্বোচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৭৯ সালের অগস্ট মাসে সিটি অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন (সিআইডিসিও) থানে ও রায়গডের সীমানায় বোম্বাই শহরের জনসংখ্যার চাপ কমাতে নিউ বোম্বাই নামে একটি উপনগরী স্থাপন করে। বোম্বাই হারবারের চাপ কমাতে ১৯৮৯ সালের ২৬ মে নব সেবায় জওহরলাল নেহেরু বন্দর কমিশন করা হয়। মুম্বইয়ের কেন্দ্রীয় বন্দর হিসেবে ব্যবহৃত এই বন্দর বর্তমানে ভারতের কন্টেনারাইজড কার্গোর ৫৫-৬০ শতাংশ বহন করে থাকে। অতীতের বোম্বাই একটি শান্তিপূর্ণ শহর হলেও বিগত দুই বছরে শহরে সন্ত্রাসের ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। ১৯৯২-৯৩ সালে অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ধ্বংসের পর শহরে হিন্দু-মুসলমানের দাঙ্গা বাধে। এই দাঙ্গায় এক হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হন। ১৯৯৩ সালের ১২ মার্চ ইসলামি সন্ত্রাসবাদী ও বোম্বাই অন্ধকার জগতের যোগসাজেশে শহরের প্রধান প্রধান দর্শনীয় স্থানগুলিতে ১৩টি পরস্পর সম্পর্কযুক্ত বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এই বিস্ফোরণে ২৫৭ জন মারা যান এবং ৭০০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হন। ২০০৬ সালে শহরের যাত্রীবাহী ট্রেনগুলিতে সাতটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হলে ২০৯ জন মারা যান এবং ৭০০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হন। ২০০৮ সালে সশস্ত্র জঙ্গিদের দশটি পরস্পর সংযুক্ত হামলায় ১৭৩ জনের মৃত্যু হয়, ৩০৮ জন আহত হন, একাধিক ঐতিহাসিক স্থান ও গুরুত্বপূর্ণ হোটেল ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বর্তমানে মুম্বই ভারতের বাণিজ্যিক রাজধানী এবং বিশ্ব অর্থনীতির একটি অন্যতম প্রধান কেন্দ্র।
ভারত ছাড়ো আন্দোলন কোন সাল থেকে শুরু হয় ?
{ "text": [ "১৯৪২" ], "answer_start": [ 1201 ] }
1551
null
১৮১৭ সালে মাউন্টস্টুয়ার্ট এলফিনস্টোনের নেতৃত্বে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি কিরকীর যুদ্ধে শেষ মারাঠা পেশোয়া দ্বিতীয় বাজি রাওকে পরাজিত করেন। এই পরাজয়ের সঙ্গে সঙ্গে সমগ্র দাক্ষিণাত্যে ব্রিটিশদের আধিপত্য স্থাপিত হয়। সমগ্র দক্ষিণ ভারত এরপর বোম্বাই প্রেসিডেন্সির অধিভুক্ত হয়েছিল। অন্যদিকে দাক্ষিণাত্যে ব্রিটিশদের সাফল্য বোম্বাইকে সকল প্রকার দেশীয় শক্তির আক্রমণের হাত থেকে মুক্তি দেয়। ১৮৪৫ সালের মধ্যে হর্নবি ভেলার্ড প্রকল্পের কল্যাণে বোম্বাইয়ের সাতটি দ্বীপ একক ভূখণ্ডে পরিণত হয়। ১৮৫৩ সালের ১৬ এপ্রিল বোম্বাই ও পার্শ্ববর্তী শহর থানের মধ্যে ভারতের প্রথম যাত্রীবাহী রেল পরিষেবা চালু হয়। আমেরিকার গৃহযুদ্ধের (১৮৬১-৬৫) সময় বোম্বাই বিশ্বের প্রধান কার্পাস বাণিজ্য বাজারে পরিণত হয়। এর ফলে শহরের ব্যাপক অর্থনৈতিক উন্নতি সাধিত হয় এবং তা শহরের গুরুত্বও বহুলাংশে বৃদ্ধি করে। ১৮৬৯ সালে সুয়েজ খাল উদ্বোধনের পর বোম্বাই আরব সাগরের বৃহত্তম সমুদ্রবন্দরে পরিণত হয়। ১৮৯৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে শহরে বিউবনিক প্লেগ মহামারীর প্রাদুর্ভাব ঘটলে প্রতি সপ্তাহে ১,৯০০ লোকের মৃত্যু হতে শুরু করে। এই সময় প্রায় ৮৫০,০০০ লোক বোম্বাই ছেড়ে পলায়ন করেন। এখানকার বস্ত্রবয়ন শিল্পও ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বোম্বাই প্রেসিডেন্সির রাজধানী হিসেবে এই শহর ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনের বিভিন্ন ঘটনার সাক্ষী। এগুলির মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য ১৯৪২ সালের ভারত ছাড়ো আন্দোলন এবং ১৯৪৬ সালের ভারতীয় নৌবিদ্রোহ। ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতা অর্জনের পর বোম্বাই প্রেসিডেন্সির অঞ্চলগুলি বোম্বাই রাজ্য নামে ভারতের অন্তর্গত হয়। একাধিক দেশীয় রাজ্যের অন্তর্ভুক্তির ফলে বোম্বাই রাজ্যের আয়তন বৃদ্ধি পায়। ১৯৫০ সালের এপ্রিল মাসে বোম্বাই উপনগর জেলা ও বোম্বাই নগরীকে একত্রিত করে বৃহত্তর বোম্বাই পৌরসংস্থা গঠিত হয়। বৃহত্তর বোম্বাই রাজস্ব জেলা ও বৃহত্তর বোম্বাই পৌরসংস্থার ভৌগোলিক সীমানা এই সময় একই ছিল। ১৯৯০ সালের ১ অক্টোবর বৃহত্তর বোম্বাই জেলা দ্বিধাখণ্ডিত করে মুম্বই জেলা ও মুম্বই উপনগর জেলা গঠিত হয়। যদিও এই দুই জেলা একই পৌরসংস্থার অধিভুক্ত। ১৯৫৫ সালের একটি লোকসভা আলোচনায় ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস মুম্বই শহরকে নিয়ে একটি স্বশাসিত নগররাজ্য স্থাপনের দাবি জানায়। ১৯৫৬ সালে রাজ্য পুনর্গঠন কমিশন বোম্বাই শহরকে রাজধানী করে দ্বিভাষিক মহারাষ্ট্র-গুজরাত রাজ্য গঠনের সুপারিশ করে। বোম্বাই সিটিজেনস কমিটি নামে নেতৃস্থানীয় গুজরাতি শিল্পপতিদের একটি সংস্থা বোম্বাইয়ের স্বশাসনের পক্ষে মতপ্রকাশ করে। ১৯৫৭ সালের নির্বাচনে সংযুক্ত মহারাষ্ট্র সমিতি এই সব প্রস্তাবের বিরোধিতা করে। তারা বোম্বাইকে মহারাষ্ট্রের রাজধানী ঘোষণা করার দাবি জানায়। এই নিয়ে আন্দোলন শুরু হয়। ফ্লোরা ফাউন্টেনে একটি প্রতিবাদ সমাবেশে পুলিশের গুলি চালনায় ১০৫ জনের মৃত্যু হয়। এরপর ১৯৬০ সালের ১ মে ভাষার ভিত্তিতে বোম্বাই রাজ্য দ্বিধাবিভক্ত হয়। বোম্বাই রাজ্যের গুজরাতি-ভাষী অঞ্চলগুলি নিয়ে গঠিত হয় গুজরাত রাজ্য। অবশিষ্ট বোম্বাই রাজ্যের মারাঠি-ভাষী অঞ্চল, মধ্য প্রদেশ ও বেরার রাজ্যের আটটি জেলা, হায়দরাবাদ রাজ্যের পাঁচটি জেলা এবং উভয় রাজ্যের মধ্যবর্তী অসংখ্য ছোটো ছোটো দেশীয় রাজ্য নিয়ে গঠিত হয় মহারাষ্ট্র রাজ্য। বোম্বাই এই রাজ্যের রাজধানী ঘোষিত হয়। সংযুক্ত মহারাষ্ট্র আন্দোলনের স্মরণে ফ্লোরা ফাউন্টেনের নামকরণ করা হয় হুতাত্মা চক (শহিদের চক); নির্মিত হয় একটি শহিদস্তম্ভও। পরবর্তী দশকগুলিতে বোম্বাই শহরের ব্যাপক উন্নতি সাধিত হয়। ১৯৬০-এর দশকের শেষ দিকে সমুদ্রোত্থিত ভূভাগ নরিমন পয়েন্ট ও কফ প্যারেডের বিকাশ ঘটানো হয়। ১৯৭৫ সালের ২৬ জানুয়ারি মহারাষ্ট্র সরকার বোম্বাই মহানগরীয় অঞ্চলের সুসংহত পরিকল্পনা ও উন্নয়নের লক্ষ্যে বোম্বাই মেট্রোপলিটান রিজিওন ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (বিএমআরডিএ) নামে একটি সর্বোচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৭৯ সালের অগস্ট মাসে সিটি অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন (সিআইডিসিও) থানে ও রায়গডের সীমানায় বোম্বাই শহরের জনসংখ্যার চাপ কমাতে নিউ বোম্বাই নামে একটি উপনগরী স্থাপন করে। বোম্বাই হারবারের চাপ কমাতে ১৯৮৯ সালের ২৬ মে নব সেবায় জওহরলাল নেহেরু বন্দর কমিশন করা হয়। মুম্বইয়ের কেন্দ্রীয় বন্দর হিসেবে ব্যবহৃত এই বন্দর বর্তমানে ভারতের কন্টেনারাইজড কার্গোর ৫৫-৬০ শতাংশ বহন করে থাকে। অতীতের বোম্বাই একটি শান্তিপূর্ণ শহর হলেও বিগত দুই বছরে শহরে সন্ত্রাসের ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। ১৯৯২-৯৩ সালে অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ধ্বংসের পর শহরে হিন্দু-মুসলমানের দাঙ্গা বাধে। এই দাঙ্গায় এক হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হন। ১৯৯৩ সালের ১২ মার্চ ইসলামি সন্ত্রাসবাদী ও বোম্বাই অন্ধকার জগতের যোগসাজেশে শহরের প্রধান প্রধান দর্শনীয় স্থানগুলিতে ১৩টি পরস্পর সম্পর্কযুক্ত বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এই বিস্ফোরণে ২৫৭ জন মারা যান এবং ৭০০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হন। ২০০৬ সালে শহরের যাত্রীবাহী ট্রেনগুলিতে সাতটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হলে ২০৯ জন মারা যান এবং ৭০০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হন। ২০০৮ সালে সশস্ত্র জঙ্গিদের দশটি পরস্পর সংযুক্ত হামলায় ১৭৩ জনের মৃত্যু হয়, ৩০৮ জন আহত হন, একাধিক ঐতিহাসিক স্থান ও গুরুত্বপূর্ণ হোটেল ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বর্তমানে মুম্বই ভারতের বাণিজ্যিক রাজধানী এবং বিশ্ব অর্থনীতির একটি অন্যতম প্রধান কেন্দ্র।
সুয়েজ খাল খোলার পর আরব সাগরে ভারতের বৃহত্তম সমুদ্রবন্দর হিসেবে কোনটি গড়ে ওঠে ?
{ "text": [ "বোম্বাই" ], "answer_start": [ 242 ] }
1552
null
১৮২২-এ ভোপাল দরবারে প্রথম নবাব বেগম কুদসিয়া বেগম-এর আমলে ব্রিটিশ পলিটিক্যাল এজেন্ট হার্বার্ট ম্যাডক আর তার সহকারী ক্যাপ্টেন জনসন বড় স্তূপটি খুঁড়ে ফেলেন লুকনো ধনরত্নের খোঁজে। তারা কী পেয়েছিলেন জানা যায় না, কিন্তু এতে প্রায় ভেঙেই পড়ে সেটি। ওঁরা ক্ষতি করেন দ্বিতীয় স্তূপটিরও। এর পর ১৮৫১ সালে নবাব বেগম শাহজাহান বেগম এর আমলে আলেকজ়ান্ডার কানিংহাম ও মেইজ়ি তিনটি স্তূপই আবার খোঁড়েন। তাতে দেহাস্থি উদ্ধারের মতো গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটলেও ক্ষতি হল প্রচুর, যা মেরামত করতে ষাট বছর পর মার্শালের কালঘাম ছুটে গিয়েছিল। তার জন্য মার্শাল ওঁদের সমালোচনাও কম করেননি। কিন্তু মার্শাল আবার গোড়াতেই অন্য এক সমস্যা তৈরি করেছিলেন। ১৯০৫-এই তিনি বলে বসেন, মুসলিম চৌকিদাররা বৌদ্ধ পুরাকীর্তির রক্ষণাবেক্ষণে সম্পূর্ণ অনুপযুক্ত। এ জন্য ধর্মপ্রাণ মানুষ চাই, মহাবোধি সোসাইটির মাধ্যমে বৌদ্ধ চৌকিদার জোগাড় করা যেতে পারে। ইতিমধ্যেই মহাবোধি মন্দিরে হিন্দু মহন্তদের অধিকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছেন অনাগারিক ধর্মপাল। সেখানে মার্শালের এই মন্তব্য সরাসরি ভোপাল স্টেটের মুসলিম নবাব পরিবারের বিরুদ্ধে যায়, এবং নবাব বেগম সুলতান জাহান স্বভাবতই এ মন্তব্য ভাল ভাবে নেননি। পরে অবশ্য সেই নবাবই সাঁচি পুনরুদ্ধারে মার্শালকে বিপুল আর্থিক সাহায্য দিচ্ছেন (বিপিন ঘোষালের লেখায় পাওয়া যায়, সংস্কারের কাজে মোট খরচ হয় ১৫ হাজার পাউন্ড আর সাঁচি নিয়ে বই ছাপতে নবাব দেন ২৫ হাজার টাকা)। এ টাকা না পাওয়া গেলে সরকারি উদ্যোগে এত বড় কাজটি হত কিনা সন্দেহ। এক দিকে নবাব পরিবারের ঘনিষ্ঠ, অন্য দিকে মার্শালের শিষ্য বিপিনবিহারীর ভূমিকা ছিল নবাবের এই মনোভাব পরিবর্তনের পিছনে ।
হারবার্ট ম্যাডক কে ছিলেন?
{ "text": [ "ব্রিটিশ পলিটিক্যাল এজেন্ট" ], "answer_start": [ 58 ] }
1553
null
১৮২২-এ ভোপাল দরবারে প্রথম নবাব বেগম কুদসিয়া বেগম-এর আমলে ব্রিটিশ পলিটিক্যাল এজেন্ট হার্বার্ট ম্যাডক আর তার সহকারী ক্যাপ্টেন জনসন বড় স্তূপটি খুঁড়ে ফেলেন লুকনো ধনরত্নের খোঁজে। তারা কী পেয়েছিলেন জানা যায় না, কিন্তু এতে প্রায় ভেঙেই পড়ে সেটি। ওঁরা ক্ষতি করেন দ্বিতীয় স্তূপটিরও। এর পর ১৮৫১ সালে নবাব বেগম শাহজাহান বেগম এর আমলে আলেকজ়ান্ডার কানিংহাম ও মেইজ়ি তিনটি স্তূপই আবার খোঁড়েন। তাতে দেহাস্থি উদ্ধারের মতো গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটলেও ক্ষতি হল প্রচুর, যা মেরামত করতে ষাট বছর পর মার্শালের কালঘাম ছুটে গিয়েছিল। তার জন্য মার্শাল ওঁদের সমালোচনাও কম করেননি। কিন্তু মার্শাল আবার গোড়াতেই অন্য এক সমস্যা তৈরি করেছিলেন। ১৯০৫-এই তিনি বলে বসেন, মুসলিম চৌকিদাররা বৌদ্ধ পুরাকীর্তির রক্ষণাবেক্ষণে সম্পূর্ণ অনুপযুক্ত। এ জন্য ধর্মপ্রাণ মানুষ চাই, মহাবোধি সোসাইটির মাধ্যমে বৌদ্ধ চৌকিদার জোগাড় করা যেতে পারে। ইতিমধ্যেই মহাবোধি মন্দিরে হিন্দু মহন্তদের অধিকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছেন অনাগারিক ধর্মপাল। সেখানে মার্শালের এই মন্তব্য সরাসরি ভোপাল স্টেটের মুসলিম নবাব পরিবারের বিরুদ্ধে যায়, এবং নবাব বেগম সুলতান জাহান স্বভাবতই এ মন্তব্য ভাল ভাবে নেননি। পরে অবশ্য সেই নবাবই সাঁচি পুনরুদ্ধারে মার্শালকে বিপুল আর্থিক সাহায্য দিচ্ছেন (বিপিন ঘোষালের লেখায় পাওয়া যায়, সংস্কারের কাজে মোট খরচ হয় ১৫ হাজার পাউন্ড আর সাঁচি নিয়ে বই ছাপতে নবাব দেন ২৫ হাজার টাকা)। এ টাকা না পাওয়া গেলে সরকারি উদ্যোগে এত বড় কাজটি হত কিনা সন্দেহ। এক দিকে নবাব পরিবারের ঘনিষ্ঠ, অন্য দিকে মার্শালের শিষ্য বিপিনবিহারীর ভূমিকা ছিল নবাবের এই মনোভাব পরিবর্তনের পিছনে ।
কোন নবাব বেগমের শাসনকালে আলেকজান্ডার কানিংহাম এবং মেইজি তিনটি স্তূপের খননকার্য পুনরায় শুরু করেন ?
{ "text": [ "শাহজাহান বেগম" ], "answer_start": [ 304 ] }
1554
null
১৮২২-এ ভোপাল দরবারে প্রথম নবাব বেগম কুদসিয়া বেগম-এর আমলে ব্রিটিশ পলিটিক্যাল এজেন্ট হার্বার্ট ম্যাডক আর তার সহকারী ক্যাপ্টেন জনসন বড় স্তূপটি খুঁড়ে ফেলেন লুকনো ধনরত্নের খোঁজে। তারা কী পেয়েছিলেন জানা যায় না, কিন্তু এতে প্রায় ভেঙেই পড়ে সেটি। ওঁরা ক্ষতি করেন দ্বিতীয় স্তূপটিরও। এর পর ১৮৫১ সালে নবাব বেগম শাহজাহান বেগম এর আমলে আলেকজ়ান্ডার কানিংহাম ও মেইজ়ি তিনটি স্তূপই আবার খোঁড়েন। তাতে দেহাস্থি উদ্ধারের মতো গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটলেও ক্ষতি হল প্রচুর, যা মেরামত করতে ষাট বছর পর মার্শালের কালঘাম ছুটে গিয়েছিল। তার জন্য মার্শাল ওঁদের সমালোচনাও কম করেননি। কিন্তু মার্শাল আবার গোড়াতেই অন্য এক সমস্যা তৈরি করেছিলেন। ১৯০৫-এই তিনি বলে বসেন, মুসলিম চৌকিদাররা বৌদ্ধ পুরাকীর্তির রক্ষণাবেক্ষণে সম্পূর্ণ অনুপযুক্ত। এ জন্য ধর্মপ্রাণ মানুষ চাই, মহাবোধি সোসাইটির মাধ্যমে বৌদ্ধ চৌকিদার জোগাড় করা যেতে পারে। ইতিমধ্যেই মহাবোধি মন্দিরে হিন্দু মহন্তদের অধিকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছেন অনাগারিক ধর্মপাল। সেখানে মার্শালের এই মন্তব্য সরাসরি ভোপাল স্টেটের মুসলিম নবাব পরিবারের বিরুদ্ধে যায়, এবং নবাব বেগম সুলতান জাহান স্বভাবতই এ মন্তব্য ভাল ভাবে নেননি। পরে অবশ্য সেই নবাবই সাঁচি পুনরুদ্ধারে মার্শালকে বিপুল আর্থিক সাহায্য দিচ্ছেন (বিপিন ঘোষালের লেখায় পাওয়া যায়, সংস্কারের কাজে মোট খরচ হয় ১৫ হাজার পাউন্ড আর সাঁচি নিয়ে বই ছাপতে নবাব দেন ২৫ হাজার টাকা)। এ টাকা না পাওয়া গেলে সরকারি উদ্যোগে এত বড় কাজটি হত কিনা সন্দেহ। এক দিকে নবাব পরিবারের ঘনিষ্ঠ, অন্য দিকে মার্শালের শিষ্য বিপিনবিহারীর ভূমিকা ছিল নবাবের এই মনোভাব পরিবর্তনের পিছনে ।
১৯১৩ সালে, ভারতের প্রত্নতাত্ত্বিক নিরীক্ষার মহাপরিচালকের নাম কি ছিল ?
{ "text": [ "" ], "answer_start": [ null ] }
1555
null
১৮২২-এ ভোপাল দরবারে প্রথম নবাব বেগম কুদসিয়া বেগম-এর আমলে ব্রিটিশ পলিটিক্যাল এজেন্ট হার্বার্ট ম্যাডক আর তার সহকারী ক্যাপ্টেন জনসন বড় স্তূপটি খুঁড়ে ফেলেন লুকনো ধনরত্নের খোঁজে। তারা কী পেয়েছিলেন জানা যায় না, কিন্তু এতে প্রায় ভেঙেই পড়ে সেটি। ওঁরা ক্ষতি করেন দ্বিতীয় স্তূপটিরও। এর পর ১৮৫১ সালে নবাব বেগম শাহজাহান বেগম এর আমলে আলেকজ়ান্ডার কানিংহাম ও মেইজ়ি তিনটি স্তূপই আবার খোঁড়েন। তাতে দেহাস্থি উদ্ধারের মতো গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটলেও ক্ষতি হল প্রচুর, যা মেরামত করতে ষাট বছর পর মার্শালের কালঘাম ছুটে গিয়েছিল। তার জন্য মার্শাল ওঁদের সমালোচনাও কম করেননি। কিন্তু মার্শাল আবার গোড়াতেই অন্য এক সমস্যা তৈরি করেছিলেন। ১৯০৫-এই তিনি বলে বসেন, মুসলিম চৌকিদাররা বৌদ্ধ পুরাকীর্তির রক্ষণাবেক্ষণে সম্পূর্ণ অনুপযুক্ত। এ জন্য ধর্মপ্রাণ মানুষ চাই, মহাবোধি সোসাইটির মাধ্যমে বৌদ্ধ চৌকিদার জোগাড় করা যেতে পারে। ইতিমধ্যেই মহাবোধি মন্দিরে হিন্দু মহন্তদের অধিকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছেন অনাগারিক ধর্মপাল। সেখানে মার্শালের এই মন্তব্য সরাসরি ভোপাল স্টেটের মুসলিম নবাব পরিবারের বিরুদ্ধে যায়, এবং নবাব বেগম সুলতান জাহান স্বভাবতই এ মন্তব্য ভাল ভাবে নেননি। পরে অবশ্য সেই নবাবই সাঁচি পুনরুদ্ধারে মার্শালকে বিপুল আর্থিক সাহায্য দিচ্ছেন (বিপিন ঘোষালের লেখায় পাওয়া যায়, সংস্কারের কাজে মোট খরচ হয় ১৫ হাজার পাউন্ড আর সাঁচি নিয়ে বই ছাপতে নবাব দেন ২৫ হাজার টাকা)। এ টাকা না পাওয়া গেলে সরকারি উদ্যোগে এত বড় কাজটি হত কিনা সন্দেহ। এক দিকে নবাব পরিবারের ঘনিষ্ঠ, অন্য দিকে মার্শালের শিষ্য বিপিনবিহারীর ভূমিকা ছিল নবাবের এই মনোভাব পরিবর্তনের পিছনে ।
মার্শালের মন্তব্য সরাসরি কোন রাজ্যের মুসলিম নবাব পরিবারের বিরুদ্ধে গিয়েছিল?
{ "text": [ "ভোপাল স্টেটের মুসলিম নবাব" ], "answer_start": [ 917 ] }
1556
null
১৮২২-এ ভোপাল দরবারে প্রথম নবাব বেগম কুদসিয়া বেগম-এর আমলে ব্রিটিশ পলিটিক্যাল এজেন্ট হার্বার্ট ম্যাডক আর তার সহকারী ক্যাপ্টেন জনসন বড় স্তূপটি খুঁড়ে ফেলেন লুকনো ধনরত্নের খোঁজে। তারা কী পেয়েছিলেন জানা যায় না, কিন্তু এতে প্রায় ভেঙেই পড়ে সেটি। ওঁরা ক্ষতি করেন দ্বিতীয় স্তূপটিরও। এর পর ১৮৫১ সালে নবাব বেগম শাহজাহান বেগম এর আমলে আলেকজ়ান্ডার কানিংহাম ও মেইজ়ি তিনটি স্তূপই আবার খোঁড়েন। তাতে দেহাস্থি উদ্ধারের মতো গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটলেও ক্ষতি হল প্রচুর, যা মেরামত করতে ষাট বছর পর মার্শালের কালঘাম ছুটে গিয়েছিল। তার জন্য মার্শাল ওঁদের সমালোচনাও কম করেননি। কিন্তু মার্শাল আবার গোড়াতেই অন্য এক সমস্যা তৈরি করেছিলেন। ১৯০৫-এই তিনি বলে বসেন, মুসলিম চৌকিদাররা বৌদ্ধ পুরাকীর্তির রক্ষণাবেক্ষণে সম্পূর্ণ অনুপযুক্ত। এ জন্য ধর্মপ্রাণ মানুষ চাই, মহাবোধি সোসাইটির মাধ্যমে বৌদ্ধ চৌকিদার জোগাড় করা যেতে পারে। ইতিমধ্যেই মহাবোধি মন্দিরে হিন্দু মহন্তদের অধিকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছেন অনাগারিক ধর্মপাল। সেখানে মার্শালের এই মন্তব্য সরাসরি ভোপাল স্টেটের মুসলিম নবাব পরিবারের বিরুদ্ধে যায়, এবং নবাব বেগম সুলতান জাহান স্বভাবতই এ মন্তব্য ভাল ভাবে নেননি। পরে অবশ্য সেই নবাবই সাঁচি পুনরুদ্ধারে মার্শালকে বিপুল আর্থিক সাহায্য দিচ্ছেন (বিপিন ঘোষালের লেখায় পাওয়া যায়, সংস্কারের কাজে মোট খরচ হয় ১৫ হাজার পাউন্ড আর সাঁচি নিয়ে বই ছাপতে নবাব দেন ২৫ হাজার টাকা)। এ টাকা না পাওয়া গেলে সরকারি উদ্যোগে এত বড় কাজটি হত কিনা সন্দেহ। এক দিকে নবাব পরিবারের ঘনিষ্ঠ, অন্য দিকে মার্শালের শিষ্য বিপিনবিহারীর ভূমিকা ছিল নবাবের এই মনোভাব পরিবর্তনের পিছনে ।
হারবার্ট ম্যাডকের সহকারীর নাম কি ছিল ?
{ "text": [ "ক্যাপ্টেন জনসন" ], "answer_start": [ 115 ] }
1557
null
১৮২২-এ ভোপাল দরবারে প্রথম নবাব বেগম কুদসিয়া বেগম-এর আমলে ব্রিটিশ পলিটিক্যাল এজেন্ট হার্বার্ট ম্যাডক আর তার সহকারী ক্যাপ্টেন জনসন বড় স্তূপটি খুঁড়ে ফেলেন লুকনো ধনরত্নের খোঁজে। তারা কী পেয়েছিলেন জানা যায় না, কিন্তু এতে প্রায় ভেঙেই পড়ে সেটি। ওঁরা ক্ষতি করেন দ্বিতীয় স্তূপটিরও। এর পর ১৮৫১ সালে নবাব বেগম শাহজাহান বেগম এর আমলে আলেকজ়ান্ডার কানিংহাম ও মেইজ়ি তিনটি স্তূপই আবার খোঁড়েন। তাতে দেহাস্থি উদ্ধারের মতো গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটলেও ক্ষতি হল প্রচুর, যা মেরামত করতে ষাট বছর পর মার্শালের কালঘাম ছুটে গিয়েছিল। তার জন্য মার্শাল ওঁদের সমালোচনাও কম করেননি। কিন্তু মার্শাল আবার গোড়াতেই অন্য এক সমস্যা তৈরি করেছিলেন। ১৯০৫-এই তিনি বলে বসেন, মুসলিম চৌকিদাররা বৌদ্ধ পুরাকীর্তির রক্ষণাবেক্ষণে সম্পূর্ণ অনুপযুক্ত। এ জন্য ধর্মপ্রাণ মানুষ চাই, মহাবোধি সোসাইটির মাধ্যমে বৌদ্ধ চৌকিদার জোগাড় করা যেতে পারে। ইতিমধ্যেই মহাবোধি মন্দিরে হিন্দু মহন্তদের অধিকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছেন অনাগারিক ধর্মপাল। সেখানে মার্শালের এই মন্তব্য সরাসরি ভোপাল স্টেটের মুসলিম নবাব পরিবারের বিরুদ্ধে যায়, এবং নবাব বেগম সুলতান জাহান স্বভাবতই এ মন্তব্য ভাল ভাবে নেননি। পরে অবশ্য সেই নবাবই সাঁচি পুনরুদ্ধারে মার্শালকে বিপুল আর্থিক সাহায্য দিচ্ছেন (বিপিন ঘোষালের লেখায় পাওয়া যায়, সংস্কারের কাজে মোট খরচ হয় ১৫ হাজার পাউন্ড আর সাঁচি নিয়ে বই ছাপতে নবাব দেন ২৫ হাজার টাকা)। এ টাকা না পাওয়া গেলে সরকারি উদ্যোগে এত বড় কাজটি হত কিনা সন্দেহ। এক দিকে নবাব পরিবারের ঘনিষ্ঠ, অন্য দিকে মার্শালের শিষ্য বিপিনবিহারীর ভূমিকা ছিল নবাবের এই মনোভাব পরিবর্তনের পিছনে ।
হিন্দু মহন্তদের অধিকারের বিরুদ্ধে কোন মন্দিরে আন্দোলন শুরু হয়েছিল?
{ "text": [ "মহাবোধি মন্দিরে" ], "answer_start": [ 798 ] }
1558
null
১৮২২-এ ভোপাল দরবারে প্রথম নবাব বেগম কুদসিয়া বেগম-এর আমলে ব্রিটিশ পলিটিক্যাল এজেন্ট হার্বার্ট ম্যাডক আর তার সহকারী ক্যাপ্টেন জনসন বড় স্তূপটি খুঁড়ে ফেলেন লুকনো ধনরত্নের খোঁজে। তারা কী পেয়েছিলেন জানা যায় না, কিন্তু এতে প্রায় ভেঙেই পড়ে সেটি। ওঁরা ক্ষতি করেন দ্বিতীয় স্তূপটিরও। এর পর ১৮৫১ সালে নবাব বেগম শাহজাহান বেগম এর আমলে আলেকজ়ান্ডার কানিংহাম ও মেইজ়ি তিনটি স্তূপই আবার খোঁড়েন। তাতে দেহাস্থি উদ্ধারের মতো গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটলেও ক্ষতি হল প্রচুর, যা মেরামত করতে ষাট বছর পর মার্শালের কালঘাম ছুটে গিয়েছিল। তার জন্য মার্শাল ওঁদের সমালোচনাও কম করেননি। কিন্তু মার্শাল আবার গোড়াতেই অন্য এক সমস্যা তৈরি করেছিলেন। ১৯০৫-এই তিনি বলে বসেন, মুসলিম চৌকিদাররা বৌদ্ধ পুরাকীর্তির রক্ষণাবেক্ষণে সম্পূর্ণ অনুপযুক্ত। এ জন্য ধর্মপ্রাণ মানুষ চাই, মহাবোধি সোসাইটির মাধ্যমে বৌদ্ধ চৌকিদার জোগাড় করা যেতে পারে। ইতিমধ্যেই মহাবোধি মন্দিরে হিন্দু মহন্তদের অধিকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছেন অনাগারিক ধর্মপাল। সেখানে মার্শালের এই মন্তব্য সরাসরি ভোপাল স্টেটের মুসলিম নবাব পরিবারের বিরুদ্ধে যায়, এবং নবাব বেগম সুলতান জাহান স্বভাবতই এ মন্তব্য ভাল ভাবে নেননি। পরে অবশ্য সেই নবাবই সাঁচি পুনরুদ্ধারে মার্শালকে বিপুল আর্থিক সাহায্য দিচ্ছেন (বিপিন ঘোষালের লেখায় পাওয়া যায়, সংস্কারের কাজে মোট খরচ হয় ১৫ হাজার পাউন্ড আর সাঁচি নিয়ে বই ছাপতে নবাব দেন ২৫ হাজার টাকা)। এ টাকা না পাওয়া গেলে সরকারি উদ্যোগে এত বড় কাজটি হত কিনা সন্দেহ। এক দিকে নবাব পরিবারের ঘনিষ্ঠ, অন্য দিকে মার্শালের শিষ্য বিপিনবিহারীর ভূমিকা ছিল নবাবের এই মনোভাব পরিবর্তনের পিছনে ।
কোন প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানে মার্শাল সবচেয়ে গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন?
{ "text": [ "" ], "answer_start": [ null ] }
1559
null
১৮৫৬ সালের মধ্যেই ভারতের অধিকাংশ অঞ্চল ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির হস্তগত হয়েছিল। এর এক বছর পরেই ঘটে ভারতীয় সিপাহি ও দেশীয় রাজ্যগুলির সম্মিলিত এক জাতীয় গণ-অভ্যুত্থান। ভারতের ইতিহাসে এই ঘটনা ভারতের প্রথম স্বাধীনতা যুদ্ধ বা সিপাহি বিদ্রোহ নামে পরিচিত। এই বিদ্রোহ ব্যর্থ হলেও তা দেশে কোম্পানির শাসনের দুর্বলতার দিকগুলি উন্মোচিত করে দেয়। তাই ভারতকে আনা হয় ব্রিটিশ রাজতন্ত্রের প্রত্যক্ষ শাসনাধীনে। বিংশ শতকে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস ও অন্যান্য রাজনৈতিক সংগঠনগুলি দেশজুড়ে স্বাধীনতা আন্দোলনের সূত্রপাত ঘটায়। ভারতীয় নেতা মহাত্মা গান্ধী লক্ষাধিক মানুষকে সঙ্গে নিয়ে অহিংস গণ-আইন অমান্য জাতীয় আন্দোলন শুরু করেন। স্বাধীনতা আন্দোলনের শেষলগ্নে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু ও তার আজাদ হিন্দ ফৌজের সংগ্রাম ভারতের ইতিহাসে এক গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়। ১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দের ১৫ আগস্ট ভারত ব্রিটিশ শাসনজাল থেকে মুক্তিলাভ করে। একই সঙ্গে দেশের পূর্ব ও পশ্চিম প্রান্তের মুসলমান-অধ্যুষিত অঞ্চলগুলি বিভক্ত হয়ে গঠন করে পাকিস্তান রাষ্ট্র। ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি নতুন সংবিধান প্রবর্তনের মধ্য দিয়ে ভারতে গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র স্থাপিত হয়। স্বাধীনতার পরে ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা, জাতপাত, নকশালবাদ, সন্ত্রাসবাদ এবং জম্মু ও কাশ্মীর, পাঞ্জাব ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের আঞ্চলিক বিচ্ছিন্নতাবাদীদের অভুত্থান দেশে মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে। ১৯৯০-এর দশক থেকে ভারতের শহরাঞ্চলগুলি এই হানাহানির শিকার হতে থাকে।
জাতিসংঘের (ব্রিটিশ ভারত হিসেবে) এবং জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনে ভারতের ভুমিকা কি?
{ "text": [ "" ], "answer_start": [ null ] }
1560
null
১৮৫৬ সালের মধ্যেই ভারতের অধিকাংশ অঞ্চল ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির হস্তগত হয়েছিল। এর এক বছর পরেই ঘটে ভারতীয় সিপাহি ও দেশীয় রাজ্যগুলির সম্মিলিত এক জাতীয় গণ-অভ্যুত্থান। ভারতের ইতিহাসে এই ঘটনা ভারতের প্রথম স্বাধীনতা যুদ্ধ বা সিপাহি বিদ্রোহ নামে পরিচিত। এই বিদ্রোহ ব্যর্থ হলেও তা দেশে কোম্পানির শাসনের দুর্বলতার দিকগুলি উন্মোচিত করে দেয়। তাই ভারতকে আনা হয় ব্রিটিশ রাজতন্ত্রের প্রত্যক্ষ শাসনাধীনে। বিংশ শতকে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস ও অন্যান্য রাজনৈতিক সংগঠনগুলি দেশজুড়ে স্বাধীনতা আন্দোলনের সূত্রপাত ঘটায়। ভারতীয় নেতা মহাত্মা গান্ধী লক্ষাধিক মানুষকে সঙ্গে নিয়ে অহিংস গণ-আইন অমান্য জাতীয় আন্দোলন শুরু করেন। স্বাধীনতা আন্দোলনের শেষলগ্নে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু ও তার আজাদ হিন্দ ফৌজের সংগ্রাম ভারতের ইতিহাসে এক গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়। ১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দের ১৫ আগস্ট ভারত ব্রিটিশ শাসনজাল থেকে মুক্তিলাভ করে। একই সঙ্গে দেশের পূর্ব ও পশ্চিম প্রান্তের মুসলমান-অধ্যুষিত অঞ্চলগুলি বিভক্ত হয়ে গঠন করে পাকিস্তান রাষ্ট্র। ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি নতুন সংবিধান প্রবর্তনের মধ্য দিয়ে ভারতে গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র স্থাপিত হয়। স্বাধীনতার পরে ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা, জাতপাত, নকশালবাদ, সন্ত্রাসবাদ এবং জম্মু ও কাশ্মীর, পাঞ্জাব ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের আঞ্চলিক বিচ্ছিন্নতাবাদীদের অভুত্থান দেশে মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে। ১৯৯০-এর দশক থেকে ভারতের শহরাঞ্চলগুলি এই হানাহানির শিকার হতে থাকে।
ভারত ১৯৯৮ সালে কতগুলি পারমাণবিক পরীক্ষা করে?
{ "text": [ "" ], "answer_start": [ null ] }
1561
null
১৮৫৬ সালের মধ্যেই ভারতের অধিকাংশ অঞ্চল ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির হস্তগত হয়েছিল। এর এক বছর পরেই ঘটে ভারতীয় সিপাহি ও দেশীয় রাজ্যগুলির সম্মিলিত এক জাতীয় গণ-অভ্যুত্থান। ভারতের ইতিহাসে এই ঘটনা ভারতের প্রথম স্বাধীনতা যুদ্ধ বা সিপাহি বিদ্রোহ নামে পরিচিত। এই বিদ্রোহ ব্যর্থ হলেও তা দেশে কোম্পানির শাসনের দুর্বলতার দিকগুলি উন্মোচিত করে দেয়। তাই ভারতকে আনা হয় ব্রিটিশ রাজতন্ত্রের প্রত্যক্ষ শাসনাধীনে। বিংশ শতকে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস ও অন্যান্য রাজনৈতিক সংগঠনগুলি দেশজুড়ে স্বাধীনতা আন্দোলনের সূত্রপাত ঘটায়। ভারতীয় নেতা মহাত্মা গান্ধী লক্ষাধিক মানুষকে সঙ্গে নিয়ে অহিংস গণ-আইন অমান্য জাতীয় আন্দোলন শুরু করেন। স্বাধীনতা আন্দোলনের শেষলগ্নে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু ও তার আজাদ হিন্দ ফৌজের সংগ্রাম ভারতের ইতিহাসে এক গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়। ১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দের ১৫ আগস্ট ভারত ব্রিটিশ শাসনজাল থেকে মুক্তিলাভ করে। একই সঙ্গে দেশের পূর্ব ও পশ্চিম প্রান্তের মুসলমান-অধ্যুষিত অঞ্চলগুলি বিভক্ত হয়ে গঠন করে পাকিস্তান রাষ্ট্র। ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি নতুন সংবিধান প্রবর্তনের মধ্য দিয়ে ভারতে গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র স্থাপিত হয়। স্বাধীনতার পরে ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা, জাতপাত, নকশালবাদ, সন্ত্রাসবাদ এবং জম্মু ও কাশ্মীর, পাঞ্জাব ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের আঞ্চলিক বিচ্ছিন্নতাবাদীদের অভুত্থান দেশে মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে। ১৯৯০-এর দশক থেকে ভারতের শহরাঞ্চলগুলি এই হানাহানির শিকার হতে থাকে।
ভারত কোন সালে ভূগর্ভস্থ পারমাণবিক পরীক্ষা চালিয়ে নিজেকে পরমাণু শক্তি হিসেবে ঘোষণা করে?
{ "text": [ "" ], "answer_start": [ null ] }
1562
null
১৮৫৬ সালের মধ্যেই ভারতের অধিকাংশ অঞ্চল ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির হস্তগত হয়েছিল। এর এক বছর পরেই ঘটে ভারতীয় সিপাহি ও দেশীয় রাজ্যগুলির সম্মিলিত এক জাতীয় গণ-অভ্যুত্থান। ভারতের ইতিহাসে এই ঘটনা ভারতের প্রথম স্বাধীনতা যুদ্ধ বা সিপাহি বিদ্রোহ নামে পরিচিত। এই বিদ্রোহ ব্যর্থ হলেও তা দেশে কোম্পানির শাসনের দুর্বলতার দিকগুলি উন্মোচিত করে দেয়। তাই ভারতকে আনা হয় ব্রিটিশ রাজতন্ত্রের প্রত্যক্ষ শাসনাধীনে। বিংশ শতকে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস ও অন্যান্য রাজনৈতিক সংগঠনগুলি দেশজুড়ে স্বাধীনতা আন্দোলনের সূত্রপাত ঘটায়। ভারতীয় নেতা মহাত্মা গান্ধী লক্ষাধিক মানুষকে সঙ্গে নিয়ে অহিংস গণ-আইন অমান্য জাতীয় আন্দোলন শুরু করেন। স্বাধীনতা আন্দোলনের শেষলগ্নে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু ও তার আজাদ হিন্দ ফৌজের সংগ্রাম ভারতের ইতিহাসে এক গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়। ১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দের ১৫ আগস্ট ভারত ব্রিটিশ শাসনজাল থেকে মুক্তিলাভ করে। একই সঙ্গে দেশের পূর্ব ও পশ্চিম প্রান্তের মুসলমান-অধ্যুষিত অঞ্চলগুলি বিভক্ত হয়ে গঠন করে পাকিস্তান রাষ্ট্র। ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি নতুন সংবিধান প্রবর্তনের মধ্য দিয়ে ভারতে গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র স্থাপিত হয়। স্বাধীনতার পরে ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা, জাতপাত, নকশালবাদ, সন্ত্রাসবাদ এবং জম্মু ও কাশ্মীর, পাঞ্জাব ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের আঞ্চলিক বিচ্ছিন্নতাবাদীদের অভুত্থান দেশে মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে। ১৯৯০-এর দশক থেকে ভারতের শহরাঞ্চলগুলি এই হানাহানির শিকার হতে থাকে।
১৯৪৭, ১৯৬৫, ১৯৭১ এবং ১৯৯৯ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের ফলে পাকিস্তানের সাথে ভারতের কি হয়?
{ "text": [ "" ], "answer_start": [ null ] }
1563
null
১৮৫৬ সালের মধ্যেই ভারতের অধিকাংশ অঞ্চল ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির হস্তগত হয়েছিল। এর এক বছর পরেই ঘটে ভারতীয় সিপাহি ও দেশীয় রাজ্যগুলির সম্মিলিত এক জাতীয় গণ-অভ্যুত্থান। ভারতের ইতিহাসে এই ঘটনা ভারতের প্রথম স্বাধীনতা যুদ্ধ বা সিপাহি বিদ্রোহ নামে পরিচিত। এই বিদ্রোহ ব্যর্থ হলেও তা দেশে কোম্পানির শাসনের দুর্বলতার দিকগুলি উন্মোচিত করে দেয়। তাই ভারতকে আনা হয় ব্রিটিশ রাজতন্ত্রের প্রত্যক্ষ শাসনাধীনে। বিংশ শতকে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস ও অন্যান্য রাজনৈতিক সংগঠনগুলি দেশজুড়ে স্বাধীনতা আন্দোলনের সূত্রপাত ঘটায়। ভারতীয় নেতা মহাত্মা গান্ধী লক্ষাধিক মানুষকে সঙ্গে নিয়ে অহিংস গণ-আইন অমান্য জাতীয় আন্দোলন শুরু করেন। স্বাধীনতা আন্দোলনের শেষলগ্নে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু ও তার আজাদ হিন্দ ফৌজের সংগ্রাম ভারতের ইতিহাসে এক গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়। ১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দের ১৫ আগস্ট ভারত ব্রিটিশ শাসনজাল থেকে মুক্তিলাভ করে। একই সঙ্গে দেশের পূর্ব ও পশ্চিম প্রান্তের মুসলমান-অধ্যুষিত অঞ্চলগুলি বিভক্ত হয়ে গঠন করে পাকিস্তান রাষ্ট্র। ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি নতুন সংবিধান প্রবর্তনের মধ্য দিয়ে ভারতে গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র স্থাপিত হয়। স্বাধীনতার পরে ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা, জাতপাত, নকশালবাদ, সন্ত্রাসবাদ এবং জম্মু ও কাশ্মীর, পাঞ্জাব ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের আঞ্চলিক বিচ্ছিন্নতাবাদীদের অভুত্থান দেশে মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে। ১৯৯০-এর দশক থেকে ভারতের শহরাঞ্চলগুলি এই হানাহানির শিকার হতে থাকে।
চীন-ভারতের যুদ্ধ কবে হয়?
{ "text": [ "" ], "answer_start": [ null ] }
1564
null
১৮৫৬ সালের মধ্যেই ভারতের অধিকাংশ অঞ্চল ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির হস্তগত হয়েছিল। এর এক বছর পরেই ঘটে ভারতীয় সিপাহি ও দেশীয় রাজ্যগুলির সম্মিলিত এক জাতীয় গণ-অভ্যুত্থান। ভারতের ইতিহাসে এই ঘটনা ভারতের প্রথম স্বাধীনতা যুদ্ধ বা সিপাহি বিদ্রোহ নামে পরিচিত। এই বিদ্রোহ ব্যর্থ হলেও তা দেশে কোম্পানির শাসনের দুর্বলতার দিকগুলি উন্মোচিত করে দেয়। তাই ভারতকে আনা হয় ব্রিটিশ রাজতন্ত্রের প্রত্যক্ষ শাসনাধীনে। বিংশ শতকে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস ও অন্যান্য রাজনৈতিক সংগঠনগুলি দেশজুড়ে স্বাধীনতা আন্দোলনের সূত্রপাত ঘটায়। ভারতীয় নেতা মহাত্মা গান্ধী লক্ষাধিক মানুষকে সঙ্গে নিয়ে অহিংস গণ-আইন অমান্য জাতীয় আন্দোলন শুরু করেন। স্বাধীনতা আন্দোলনের শেষলগ্নে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু ও তার আজাদ হিন্দ ফৌজের সংগ্রাম ভারতের ইতিহাসে এক গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়। ১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দের ১৫ আগস্ট ভারত ব্রিটিশ শাসনজাল থেকে মুক্তিলাভ করে। একই সঙ্গে দেশের পূর্ব ও পশ্চিম প্রান্তের মুসলমান-অধ্যুষিত অঞ্চলগুলি বিভক্ত হয়ে গঠন করে পাকিস্তান রাষ্ট্র। ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি নতুন সংবিধান প্রবর্তনের মধ্য দিয়ে ভারতে গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র স্থাপিত হয়। স্বাধীনতার পরে ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা, জাতপাত, নকশালবাদ, সন্ত্রাসবাদ এবং জম্মু ও কাশ্মীর, পাঞ্জাব ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের আঞ্চলিক বিচ্ছিন্নতাবাদীদের অভুত্থান দেশে মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে। ১৯৯০-এর দশক থেকে ভারতের শহরাঞ্চলগুলি এই হানাহানির শিকার হতে থাকে।
অহিংস আন্দোলন কার নেতৃত্বে শুরু হয় ?
{ "text": [ "মহাত্মা গান্ধী" ], "answer_start": [ 518 ] }
1565
null
১৮৫৬ সালের মধ্যেই ভারতের অধিকাংশ অঞ্চল ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির হস্তগত হয়েছিল। এর এক বছর পরেই ঘটে ভারতীয় সিপাহি ও দেশীয় রাজ্যগুলির সম্মিলিত এক জাতীয় গণ-অভ্যুত্থান। ভারতের ইতিহাসে এই ঘটনা ভারতের প্রথম স্বাধীনতা যুদ্ধ বা সিপাহি বিদ্রোহ নামে পরিচিত। এই বিদ্রোহ ব্যর্থ হলেও তা দেশে কোম্পানির শাসনের দুর্বলতার দিকগুলি উন্মোচিত করে দেয়। তাই ভারতকে আনা হয় ব্রিটিশ রাজতন্ত্রের প্রত্যক্ষ শাসনাধীনে। বিংশ শতকে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস ও অন্যান্য রাজনৈতিক সংগঠনগুলি দেশজুড়ে স্বাধীনতা আন্দোলনের সূত্রপাত ঘটায়। ভারতীয় নেতা মহাত্মা গান্ধী লক্ষাধিক মানুষকে সঙ্গে নিয়ে অহিংস গণ-আইন অমান্য জাতীয় আন্দোলন শুরু করেন। স্বাধীনতা আন্দোলনের শেষলগ্নে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু ও তার আজাদ হিন্দ ফৌজের সংগ্রাম ভারতের ইতিহাসে এক গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়। ১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দের ১৫ আগস্ট ভারত ব্রিটিশ শাসনজাল থেকে মুক্তিলাভ করে। একই সঙ্গে দেশের পূর্ব ও পশ্চিম প্রান্তের মুসলমান-অধ্যুষিত অঞ্চলগুলি বিভক্ত হয়ে গঠন করে পাকিস্তান রাষ্ট্র। ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি নতুন সংবিধান প্রবর্তনের মধ্য দিয়ে ভারতে গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র স্থাপিত হয়। স্বাধীনতার পরে ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা, জাতপাত, নকশালবাদ, সন্ত্রাসবাদ এবং জম্মু ও কাশ্মীর, পাঞ্জাব ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের আঞ্চলিক বিচ্ছিন্নতাবাদীদের অভুত্থান দেশে মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে। ১৯৯০-এর দশক থেকে ভারতের শহরাঞ্চলগুলি এই হানাহানির শিকার হতে থাকে।
ভারতে কত সালে নতুন সংবিধান গঠিত হয় ?
{ "text": [ "১৯৫০" ], "answer_start": [ 902 ] }
1566
null
১৮৫৬ সালের মধ্যেই ভারতের অধিকাংশ অঞ্চল ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির হস্তগত হয়েছিল। এর এক বছর পরেই ঘটে ভারতীয় সিপাহি ও দেশীয় রাজ্যগুলির সম্মিলিত এক জাতীয় গণ-অভ্যুত্থান। ভারতের ইতিহাসে এই ঘটনা ভারতের প্রথম স্বাধীনতা যুদ্ধ বা সিপাহি বিদ্রোহ নামে পরিচিত। এই বিদ্রোহ ব্যর্থ হলেও তা দেশে কোম্পানির শাসনের দুর্বলতার দিকগুলি উন্মোচিত করে দেয়। তাই ভারতকে আনা হয় ব্রিটিশ রাজতন্ত্রের প্রত্যক্ষ শাসনাধীনে। বিংশ শতকে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস ও অন্যান্য রাজনৈতিক সংগঠনগুলি দেশজুড়ে স্বাধীনতা আন্দোলনের সূত্রপাত ঘটায়। ভারতীয় নেতা মহাত্মা গান্ধী লক্ষাধিক মানুষকে সঙ্গে নিয়ে অহিংস গণ-আইন অমান্য জাতীয় আন্দোলন শুরু করেন। স্বাধীনতা আন্দোলনের শেষলগ্নে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু ও তার আজাদ হিন্দ ফৌজের সংগ্রাম ভারতের ইতিহাসে এক গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়। ১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দের ১৫ আগস্ট ভারত ব্রিটিশ শাসনজাল থেকে মুক্তিলাভ করে। একই সঙ্গে দেশের পূর্ব ও পশ্চিম প্রান্তের মুসলমান-অধ্যুষিত অঞ্চলগুলি বিভক্ত হয়ে গঠন করে পাকিস্তান রাষ্ট্র। ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি নতুন সংবিধান প্রবর্তনের মধ্য দিয়ে ভারতে গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র স্থাপিত হয়। স্বাধীনতার পরে ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা, জাতপাত, নকশালবাদ, সন্ত্রাসবাদ এবং জম্মু ও কাশ্মীর, পাঞ্জাব ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের আঞ্চলিক বিচ্ছিন্নতাবাদীদের অভুত্থান দেশে মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে। ১৯৯০-এর দশক থেকে ভারতের শহরাঞ্চলগুলি এই হানাহানির শিকার হতে থাকে।
কত সালে ভারত স্বাধীনতা লাভ করে ?
{ "text": [ "১৯৪৭" ], "answer_start": [ 728 ] }
1567
null
১৮৫৬ সালের মধ্যেই ভারতের অধিকাংশ অঞ্চল ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির হস্তগত হয়েছিল। এর এক বছর পরেই ঘটে ভারতীয় সিপাহি ও দেশীয় রাজ্যগুলির সম্মিলিত এক জাতীয় গণ-অভ্যুত্থান। ভারতের ইতিহাসে এই ঘটনা ভারতের প্রথম স্বাধীনতা যুদ্ধ বা সিপাহি বিদ্রোহ নামে পরিচিত। এই বিদ্রোহ ব্যর্থ হলেও তা দেশে কোম্পানির শাসনের দুর্বলতার দিকগুলি উন্মোচিত করে দেয়। তাই ভারতকে আনা হয় ব্রিটিশ রাজতন্ত্রের প্রত্যক্ষ শাসনাধীনে। বিংশ শতকে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস ও অন্যান্য রাজনৈতিক সংগঠনগুলি দেশজুড়ে স্বাধীনতা আন্দোলনের সূত্রপাত ঘটায়। ভারতীয় নেতা মহাত্মা গান্ধী লক্ষাধিক মানুষকে সঙ্গে নিয়ে অহিংস গণ-আইন অমান্য জাতীয় আন্দোলন শুরু করেন। স্বাধীনতা আন্দোলনের শেষলগ্নে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু ও তার আজাদ হিন্দ ফৌজের সংগ্রাম ভারতের ইতিহাসে এক গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়। ১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দের ১৫ আগস্ট ভারত ব্রিটিশ শাসনজাল থেকে মুক্তিলাভ করে। একই সঙ্গে দেশের পূর্ব ও পশ্চিম প্রান্তের মুসলমান-অধ্যুষিত অঞ্চলগুলি বিভক্ত হয়ে গঠন করে পাকিস্তান রাষ্ট্র। ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি নতুন সংবিধান প্রবর্তনের মধ্য দিয়ে ভারতে গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র স্থাপিত হয়। স্বাধীনতার পরে ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা, জাতপাত, নকশালবাদ, সন্ত্রাসবাদ এবং জম্মু ও কাশ্মীর, পাঞ্জাব ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের আঞ্চলিক বিচ্ছিন্নতাবাদীদের অভুত্থান দেশে মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে। ১৯৯০-এর দশক থেকে ভারতের শহরাঞ্চলগুলি এই হানাহানির শিকার হতে থাকে।
ভারতের কোন অংশ নিয়ে পাকিস্তান গঠিত হয় ?
{ "text": [ "পূর্ব ও পশ্চিম প্রান্তের" ], "answer_start": [ 812 ] }
1568
null
১৮৫৬ সালের মধ্যেই ভারতের অধিকাংশ অঞ্চল ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির হস্তগত হয়েছিল। এর এক বছর পরেই ঘটে ভারতীয় সিপাহি ও দেশীয় রাজ্যগুলির সম্মিলিত এক জাতীয় গণ-অভ্যুত্থান। ভারতের ইতিহাসে এই ঘটনা ভারতের প্রথম স্বাধীনতা যুদ্ধ বা সিপাহি বিদ্রোহ নামে পরিচিত। এই বিদ্রোহ ব্যর্থ হলেও তা দেশে কোম্পানির শাসনের দুর্বলতার দিকগুলি উন্মোচিত করে দেয়। তাই ভারতকে আনা হয় ব্রিটিশ রাজতন্ত্রের প্রত্যক্ষ শাসনাধীনে। বিংশ শতকে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস ও অন্যান্য রাজনৈতিক সংগঠনগুলি দেশজুড়ে স্বাধীনতা আন্দোলনের সূত্রপাত ঘটায়। ভারতীয় নেতা মহাত্মা গান্ধী লক্ষাধিক মানুষকে সঙ্গে নিয়ে অহিংস গণ-আইন অমান্য জাতীয় আন্দোলন শুরু করেন। স্বাধীনতা আন্দোলনের শেষলগ্নে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু ও তার আজাদ হিন্দ ফৌজের সংগ্রাম ভারতের ইতিহাসে এক গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়। ১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দের ১৫ আগস্ট ভারত ব্রিটিশ শাসনজাল থেকে মুক্তিলাভ করে। একই সঙ্গে দেশের পূর্ব ও পশ্চিম প্রান্তের মুসলমান-অধ্যুষিত অঞ্চলগুলি বিভক্ত হয়ে গঠন করে পাকিস্তান রাষ্ট্র। ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি নতুন সংবিধান প্রবর্তনের মধ্য দিয়ে ভারতে গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র স্থাপিত হয়। স্বাধীনতার পরে ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা, জাতপাত, নকশালবাদ, সন্ত্রাসবাদ এবং জম্মু ও কাশ্মীর, পাঞ্জাব ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের আঞ্চলিক বিচ্ছিন্নতাবাদীদের অভুত্থান দেশে মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে। ১৯৯০-এর দশক থেকে ভারতের শহরাঞ্চলগুলি এই হানাহানির শিকার হতে থাকে।
কত সালের মধ্যে ভারতের অধিকাংশ অঞ্চল ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির হস্তগত হয়েছিল ?
{ "text": [ "১৮৫৬" ], "answer_start": [ 0 ] }
1569
null
১৮৭৩ সালে এখানে একটি জলাধার নির্মিত হয়। এই জলাধারটি পূর্ব ও পশ্চিম যমুনা খাল নামে দুটি গুরুত্বপূর্ণ খালের উৎপত্তিস্থল। এই খালদুটির মাধ্যমে হরিয়ানা ও উত্তরপ্রদেশ রাজ্যে সেচের জল সরবরাহ করা হয়। পশ্চিম যমুনা খাল যমুনা নগর, কারণাল ও পানিপথ পেরিয়ে হায়দারপুর ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টে উপস্থিত হয়েছে। এই প্ল্যান্ট দিল্লির পৌর জল সরবরাহ ব্যবস্থার একটি উৎস। এর পর এতে যমুনা নগর ও পানিপথ শহরের বর্জ্য জল এসে মিশ্রিত হয়েছে। অতঃপর শূন্য যমুনা নদী আবার পূর্ণ হয়েছে বিভিন্ন ঋতুগত জলধারা ও ভৌমজলের উৎস থেকে। শুষ্ক ঋতুতে তাজেওয়ালা থেকে দিল্লি পর্যন্ত প্রবাহপথে যমুনা অনেকাংশেই শুকনো থাকে। এরপর ২২৪ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে যমুনা প্রবেশ করে পাল্লা জেলায়। যমুনা নদী উত্তরাখণ্ড ও হিমাচল প্রদেশ রাজ্যের প্রাকৃতিক সীমানাও নির্দেশ করেছে। বিশ্বের বৃহত্তম পললসমৃদ্ধ উর্বর সমভূমি সিন্ধু-গাঙ্গেয় সমভূমি অঞ্চলে গঙ্গা নদীর সঙ্গে সমান্তরালে প্রবাহিত হয়ে যমুনা নদী ৬৯,০০০ বর্গকিলোমিটার আয়তন বিশিষ্ট গঙ্গা-যমুনা দোয়াব অঞ্চলের সৃষ্টি করেছে। এই অঞ্চল সমগ্র সমভূমির এক-তৃতীয়াংশ অঞ্চল জুড়ে অবস্থান করছে। বর্তমানে এই অঞ্চল কৃষিক্ষেত্রে সমৃদ্ধির জন্য সুপ্রসিদ্ধ। এখানকার উৎপাদিত ফসলগুলির মধ্যে বাসমতী চাল বিশেষ উল্লেখযোগ্য। ভারতের কৃষকদের এক তৃতীয়াংশ এই সমভূমি অঞ্চলেই বাস করেন। দিল্লি, হরিয়ানা ও উত্তরপ্রদেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে এলাহাবাদের পবিত্র হিন্দু তীর্থ ত্রিবেণী সঙ্গমে ১,৩৭৬ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করার পর গঙ্গা নদীর সঙ্গে মিলিত হয়েছে যমুনা। এখানে নদীর মধ্যভাগে একটি উচ্চ মঞ্চে অবস্থিত তীর্থক্ষেত্রে তীর্থযাত্রীরা নৌকাযোগে পূজা দিতে যান। প্রতি বারো বছর অন্তর সঙ্গমের ঘাটগুলিতে কুম্ভমেলা আয়োজিত হয়। এই সময় পূণ্যার্থীরা নদীতে স্নান করেন।
কোন দুটি শহরের বর্জ্য জল যমুনা নদীতে এসে মেশে ?
{ "text": [ "যমুনা নগর ও পানিপথ শহরের" ], "answer_start": [ 356 ] }
1570
null
১৮৭৩ সালে এখানে একটি জলাধার নির্মিত হয়। এই জলাধারটি পূর্ব ও পশ্চিম যমুনা খাল নামে দুটি গুরুত্বপূর্ণ খালের উৎপত্তিস্থল। এই খালদুটির মাধ্যমে হরিয়ানা ও উত্তরপ্রদেশ রাজ্যে সেচের জল সরবরাহ করা হয়। পশ্চিম যমুনা খাল যমুনা নগর, কারণাল ও পানিপথ পেরিয়ে হায়দারপুর ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টে উপস্থিত হয়েছে। এই প্ল্যান্ট দিল্লির পৌর জল সরবরাহ ব্যবস্থার একটি উৎস। এর পর এতে যমুনা নগর ও পানিপথ শহরের বর্জ্য জল এসে মিশ্রিত হয়েছে। অতঃপর শূন্য যমুনা নদী আবার পূর্ণ হয়েছে বিভিন্ন ঋতুগত জলধারা ও ভৌমজলের উৎস থেকে। শুষ্ক ঋতুতে তাজেওয়ালা থেকে দিল্লি পর্যন্ত প্রবাহপথে যমুনা অনেকাংশেই শুকনো থাকে। এরপর ২২৪ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে যমুনা প্রবেশ করে পাল্লা জেলায়। যমুনা নদী উত্তরাখণ্ড ও হিমাচল প্রদেশ রাজ্যের প্রাকৃতিক সীমানাও নির্দেশ করেছে। বিশ্বের বৃহত্তম পললসমৃদ্ধ উর্বর সমভূমি সিন্ধু-গাঙ্গেয় সমভূমি অঞ্চলে গঙ্গা নদীর সঙ্গে সমান্তরালে প্রবাহিত হয়ে যমুনা নদী ৬৯,০০০ বর্গকিলোমিটার আয়তন বিশিষ্ট গঙ্গা-যমুনা দোয়াব অঞ্চলের সৃষ্টি করেছে। এই অঞ্চল সমগ্র সমভূমির এক-তৃতীয়াংশ অঞ্চল জুড়ে অবস্থান করছে। বর্তমানে এই অঞ্চল কৃষিক্ষেত্রে সমৃদ্ধির জন্য সুপ্রসিদ্ধ। এখানকার উৎপাদিত ফসলগুলির মধ্যে বাসমতী চাল বিশেষ উল্লেখযোগ্য। ভারতের কৃষকদের এক তৃতীয়াংশ এই সমভূমি অঞ্চলেই বাস করেন। দিল্লি, হরিয়ানা ও উত্তরপ্রদেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে এলাহাবাদের পবিত্র হিন্দু তীর্থ ত্রিবেণী সঙ্গমে ১,৩৭৬ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করার পর গঙ্গা নদীর সঙ্গে মিলিত হয়েছে যমুনা। এখানে নদীর মধ্যভাগে একটি উচ্চ মঞ্চে অবস্থিত তীর্থক্ষেত্রে তীর্থযাত্রীরা নৌকাযোগে পূজা দিতে যান। প্রতি বারো বছর অন্তর সঙ্গমের ঘাটগুলিতে কুম্ভমেলা আয়োজিত হয়। এই সময় পূণ্যার্থীরা নদীতে স্নান করেন।
ভারতে চম্বল নদী কোন নদীর সাথে মিলিত হয় ?
{ "text": [ "" ], "answer_start": [ null ] }
1571
null
১৮৭৩ সালে এখানে একটি জলাধার নির্মিত হয়। এই জলাধারটি পূর্ব ও পশ্চিম যমুনা খাল নামে দুটি গুরুত্বপূর্ণ খালের উৎপত্তিস্থল। এই খালদুটির মাধ্যমে হরিয়ানা ও উত্তরপ্রদেশ রাজ্যে সেচের জল সরবরাহ করা হয়। পশ্চিম যমুনা খাল যমুনা নগর, কারণাল ও পানিপথ পেরিয়ে হায়দারপুর ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টে উপস্থিত হয়েছে। এই প্ল্যান্ট দিল্লির পৌর জল সরবরাহ ব্যবস্থার একটি উৎস। এর পর এতে যমুনা নগর ও পানিপথ শহরের বর্জ্য জল এসে মিশ্রিত হয়েছে। অতঃপর শূন্য যমুনা নদী আবার পূর্ণ হয়েছে বিভিন্ন ঋতুগত জলধারা ও ভৌমজলের উৎস থেকে। শুষ্ক ঋতুতে তাজেওয়ালা থেকে দিল্লি পর্যন্ত প্রবাহপথে যমুনা অনেকাংশেই শুকনো থাকে। এরপর ২২৪ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে যমুনা প্রবেশ করে পাল্লা জেলায়। যমুনা নদী উত্তরাখণ্ড ও হিমাচল প্রদেশ রাজ্যের প্রাকৃতিক সীমানাও নির্দেশ করেছে। বিশ্বের বৃহত্তম পললসমৃদ্ধ উর্বর সমভূমি সিন্ধু-গাঙ্গেয় সমভূমি অঞ্চলে গঙ্গা নদীর সঙ্গে সমান্তরালে প্রবাহিত হয়ে যমুনা নদী ৬৯,০০০ বর্গকিলোমিটার আয়তন বিশিষ্ট গঙ্গা-যমুনা দোয়াব অঞ্চলের সৃষ্টি করেছে। এই অঞ্চল সমগ্র সমভূমির এক-তৃতীয়াংশ অঞ্চল জুড়ে অবস্থান করছে। বর্তমানে এই অঞ্চল কৃষিক্ষেত্রে সমৃদ্ধির জন্য সুপ্রসিদ্ধ। এখানকার উৎপাদিত ফসলগুলির মধ্যে বাসমতী চাল বিশেষ উল্লেখযোগ্য। ভারতের কৃষকদের এক তৃতীয়াংশ এই সমভূমি অঞ্চলেই বাস করেন। দিল্লি, হরিয়ানা ও উত্তরপ্রদেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে এলাহাবাদের পবিত্র হিন্দু তীর্থ ত্রিবেণী সঙ্গমে ১,৩৭৬ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করার পর গঙ্গা নদীর সঙ্গে মিলিত হয়েছে যমুনা। এখানে নদীর মধ্যভাগে একটি উচ্চ মঞ্চে অবস্থিত তীর্থক্ষেত্রে তীর্থযাত্রীরা নৌকাযোগে পূজা দিতে যান। প্রতি বারো বছর অন্তর সঙ্গমের ঘাটগুলিতে কুম্ভমেলা আয়োজিত হয়। এই সময় পূণ্যার্থীরা নদীতে স্নান করেন।
মথুরা কোন নদীর তীরে অবস্থিত ?
{ "text": [ "" ], "answer_start": [ null ] }
1572
null
১৮৭৩ সালে এখানে একটি জলাধার নির্মিত হয়। এই জলাধারটি পূর্ব ও পশ্চিম যমুনা খাল নামে দুটি গুরুত্বপূর্ণ খালের উৎপত্তিস্থল। এই খালদুটির মাধ্যমে হরিয়ানা ও উত্তরপ্রদেশ রাজ্যে সেচের জল সরবরাহ করা হয়। পশ্চিম যমুনা খাল যমুনা নগর, কারণাল ও পানিপথ পেরিয়ে হায়দারপুর ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টে উপস্থিত হয়েছে। এই প্ল্যান্ট দিল্লির পৌর জল সরবরাহ ব্যবস্থার একটি উৎস। এর পর এতে যমুনা নগর ও পানিপথ শহরের বর্জ্য জল এসে মিশ্রিত হয়েছে। অতঃপর শূন্য যমুনা নদী আবার পূর্ণ হয়েছে বিভিন্ন ঋতুগত জলধারা ও ভৌমজলের উৎস থেকে। শুষ্ক ঋতুতে তাজেওয়ালা থেকে দিল্লি পর্যন্ত প্রবাহপথে যমুনা অনেকাংশেই শুকনো থাকে। এরপর ২২৪ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে যমুনা প্রবেশ করে পাল্লা জেলায়। যমুনা নদী উত্তরাখণ্ড ও হিমাচল প্রদেশ রাজ্যের প্রাকৃতিক সীমানাও নির্দেশ করেছে। বিশ্বের বৃহত্তম পললসমৃদ্ধ উর্বর সমভূমি সিন্ধু-গাঙ্গেয় সমভূমি অঞ্চলে গঙ্গা নদীর সঙ্গে সমান্তরালে প্রবাহিত হয়ে যমুনা নদী ৬৯,০০০ বর্গকিলোমিটার আয়তন বিশিষ্ট গঙ্গা-যমুনা দোয়াব অঞ্চলের সৃষ্টি করেছে। এই অঞ্চল সমগ্র সমভূমির এক-তৃতীয়াংশ অঞ্চল জুড়ে অবস্থান করছে। বর্তমানে এই অঞ্চল কৃষিক্ষেত্রে সমৃদ্ধির জন্য সুপ্রসিদ্ধ। এখানকার উৎপাদিত ফসলগুলির মধ্যে বাসমতী চাল বিশেষ উল্লেখযোগ্য। ভারতের কৃষকদের এক তৃতীয়াংশ এই সমভূমি অঞ্চলেই বাস করেন। দিল্লি, হরিয়ানা ও উত্তরপ্রদেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে এলাহাবাদের পবিত্র হিন্দু তীর্থ ত্রিবেণী সঙ্গমে ১,৩৭৬ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করার পর গঙ্গা নদীর সঙ্গে মিলিত হয়েছে যমুনা। এখানে নদীর মধ্যভাগে একটি উচ্চ মঞ্চে অবস্থিত তীর্থক্ষেত্রে তীর্থযাত্রীরা নৌকাযোগে পূজা দিতে যান। প্রতি বারো বছর অন্তর সঙ্গমের ঘাটগুলিতে কুম্ভমেলা আয়োজিত হয়। এই সময় পূণ্যার্থীরা নদীতে স্নান করেন।
পূর্ব ও পশ্চিম যমুনা খালগুলো কোন প্রদেশের সেচের জল সরবরাহ করে ?
{ "text": [ "হরিয়ানা ও উত্তরপ্রদেশ রাজ্যে" ], "answer_start": [ 138 ] }
1573
null
১৮৭৩ সালে এখানে একটি জলাধার নির্মিত হয়। এই জলাধারটি পূর্ব ও পশ্চিম যমুনা খাল নামে দুটি গুরুত্বপূর্ণ খালের উৎপত্তিস্থল। এই খালদুটির মাধ্যমে হরিয়ানা ও উত্তরপ্রদেশ রাজ্যে সেচের জল সরবরাহ করা হয়। পশ্চিম যমুনা খাল যমুনা নগর, কারণাল ও পানিপথ পেরিয়ে হায়দারপুর ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টে উপস্থিত হয়েছে। এই প্ল্যান্ট দিল্লির পৌর জল সরবরাহ ব্যবস্থার একটি উৎস। এর পর এতে যমুনা নগর ও পানিপথ শহরের বর্জ্য জল এসে মিশ্রিত হয়েছে। অতঃপর শূন্য যমুনা নদী আবার পূর্ণ হয়েছে বিভিন্ন ঋতুগত জলধারা ও ভৌমজলের উৎস থেকে। শুষ্ক ঋতুতে তাজেওয়ালা থেকে দিল্লি পর্যন্ত প্রবাহপথে যমুনা অনেকাংশেই শুকনো থাকে। এরপর ২২৪ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে যমুনা প্রবেশ করে পাল্লা জেলায়। যমুনা নদী উত্তরাখণ্ড ও হিমাচল প্রদেশ রাজ্যের প্রাকৃতিক সীমানাও নির্দেশ করেছে। বিশ্বের বৃহত্তম পললসমৃদ্ধ উর্বর সমভূমি সিন্ধু-গাঙ্গেয় সমভূমি অঞ্চলে গঙ্গা নদীর সঙ্গে সমান্তরালে প্রবাহিত হয়ে যমুনা নদী ৬৯,০০০ বর্গকিলোমিটার আয়তন বিশিষ্ট গঙ্গা-যমুনা দোয়াব অঞ্চলের সৃষ্টি করেছে। এই অঞ্চল সমগ্র সমভূমির এক-তৃতীয়াংশ অঞ্চল জুড়ে অবস্থান করছে। বর্তমানে এই অঞ্চল কৃষিক্ষেত্রে সমৃদ্ধির জন্য সুপ্রসিদ্ধ। এখানকার উৎপাদিত ফসলগুলির মধ্যে বাসমতী চাল বিশেষ উল্লেখযোগ্য। ভারতের কৃষকদের এক তৃতীয়াংশ এই সমভূমি অঞ্চলেই বাস করেন। দিল্লি, হরিয়ানা ও উত্তরপ্রদেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে এলাহাবাদের পবিত্র হিন্দু তীর্থ ত্রিবেণী সঙ্গমে ১,৩৭৬ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করার পর গঙ্গা নদীর সঙ্গে মিলিত হয়েছে যমুনা। এখানে নদীর মধ্যভাগে একটি উচ্চ মঞ্চে অবস্থিত তীর্থক্ষেত্রে তীর্থযাত্রীরা নৌকাযোগে পূজা দিতে যান। প্রতি বারো বছর অন্তর সঙ্গমের ঘাটগুলিতে কুম্ভমেলা আয়োজিত হয়। এই সময় পূণ্যার্থীরা নদীতে স্নান করেন।
ভারতে ১৮৭৩ সালে নির্মিত জলাধারটি কোন দুটি খালের উৎস ?
{ "text": [ "পূর্ব ও পশ্চিম যমুনা খাল" ], "answer_start": [ 52 ] }
1574
null
১৮৭৩ সালে এখানে একটি জলাধার নির্মিত হয়। এই জলাধারটি পূর্ব ও পশ্চিম যমুনা খাল নামে দুটি গুরুত্বপূর্ণ খালের উৎপত্তিস্থল। এই খালদুটির মাধ্যমে হরিয়ানা ও উত্তরপ্রদেশ রাজ্যে সেচের জল সরবরাহ করা হয়। পশ্চিম যমুনা খাল যমুনা নগর, কারণাল ও পানিপথ পেরিয়ে হায়দারপুর ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টে উপস্থিত হয়েছে। এই প্ল্যান্ট দিল্লির পৌর জল সরবরাহ ব্যবস্থার একটি উৎস। এর পর এতে যমুনা নগর ও পানিপথ শহরের বর্জ্য জল এসে মিশ্রিত হয়েছে। অতঃপর শূন্য যমুনা নদী আবার পূর্ণ হয়েছে বিভিন্ন ঋতুগত জলধারা ও ভৌমজলের উৎস থেকে। শুষ্ক ঋতুতে তাজেওয়ালা থেকে দিল্লি পর্যন্ত প্রবাহপথে যমুনা অনেকাংশেই শুকনো থাকে। এরপর ২২৪ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে যমুনা প্রবেশ করে পাল্লা জেলায়। যমুনা নদী উত্তরাখণ্ড ও হিমাচল প্রদেশ রাজ্যের প্রাকৃতিক সীমানাও নির্দেশ করেছে। বিশ্বের বৃহত্তম পললসমৃদ্ধ উর্বর সমভূমি সিন্ধু-গাঙ্গেয় সমভূমি অঞ্চলে গঙ্গা নদীর সঙ্গে সমান্তরালে প্রবাহিত হয়ে যমুনা নদী ৬৯,০০০ বর্গকিলোমিটার আয়তন বিশিষ্ট গঙ্গা-যমুনা দোয়াব অঞ্চলের সৃষ্টি করেছে। এই অঞ্চল সমগ্র সমভূমির এক-তৃতীয়াংশ অঞ্চল জুড়ে অবস্থান করছে। বর্তমানে এই অঞ্চল কৃষিক্ষেত্রে সমৃদ্ধির জন্য সুপ্রসিদ্ধ। এখানকার উৎপাদিত ফসলগুলির মধ্যে বাসমতী চাল বিশেষ উল্লেখযোগ্য। ভারতের কৃষকদের এক তৃতীয়াংশ এই সমভূমি অঞ্চলেই বাস করেন। দিল্লি, হরিয়ানা ও উত্তরপ্রদেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে এলাহাবাদের পবিত্র হিন্দু তীর্থ ত্রিবেণী সঙ্গমে ১,৩৭৬ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করার পর গঙ্গা নদীর সঙ্গে মিলিত হয়েছে যমুনা। এখানে নদীর মধ্যভাগে একটি উচ্চ মঞ্চে অবস্থিত তীর্থক্ষেত্রে তীর্থযাত্রীরা নৌকাযোগে পূজা দিতে যান। প্রতি বারো বছর অন্তর সঙ্গমের ঘাটগুলিতে কুম্ভমেলা আয়োজিত হয়। এই সময় পূণ্যার্থীরা নদীতে স্নান করেন।
পূর্ব ও পশ্চিম যমুনা খাল নামে দুটি গুরুত্বপূর্ণ খালের উৎপত্তিস্থল জলাধারটি কত সালে তৈরি করা হয়েছিল ?
{ "text": [ "১৮৭৩ সালে" ], "answer_start": [ 0 ] }
1575
null
১৮৭৩ সালে এখানে একটি জলাধার নির্মিত হয়। এই জলাধারটি পূর্ব ও পশ্চিম যমুনা খাল নামে দুটি গুরুত্বপূর্ণ খালের উৎপত্তিস্থল। এই খালদুটির মাধ্যমে হরিয়ানা ও উত্তরপ্রদেশ রাজ্যে সেচের জল সরবরাহ করা হয়। পশ্চিম যমুনা খাল যমুনা নগর, কারণাল ও পানিপথ পেরিয়ে হায়দারপুর ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টে উপস্থিত হয়েছে। এই প্ল্যান্ট দিল্লির পৌর জল সরবরাহ ব্যবস্থার একটি উৎস। এর পর এতে যমুনা নগর ও পানিপথ শহরের বর্জ্য জল এসে মিশ্রিত হয়েছে। অতঃপর শূন্য যমুনা নদী আবার পূর্ণ হয়েছে বিভিন্ন ঋতুগত জলধারা ও ভৌমজলের উৎস থেকে। শুষ্ক ঋতুতে তাজেওয়ালা থেকে দিল্লি পর্যন্ত প্রবাহপথে যমুনা অনেকাংশেই শুকনো থাকে। এরপর ২২৪ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে যমুনা প্রবেশ করে পাল্লা জেলায়। যমুনা নদী উত্তরাখণ্ড ও হিমাচল প্রদেশ রাজ্যের প্রাকৃতিক সীমানাও নির্দেশ করেছে। বিশ্বের বৃহত্তম পললসমৃদ্ধ উর্বর সমভূমি সিন্ধু-গাঙ্গেয় সমভূমি অঞ্চলে গঙ্গা নদীর সঙ্গে সমান্তরালে প্রবাহিত হয়ে যমুনা নদী ৬৯,০০০ বর্গকিলোমিটার আয়তন বিশিষ্ট গঙ্গা-যমুনা দোয়াব অঞ্চলের সৃষ্টি করেছে। এই অঞ্চল সমগ্র সমভূমির এক-তৃতীয়াংশ অঞ্চল জুড়ে অবস্থান করছে। বর্তমানে এই অঞ্চল কৃষিক্ষেত্রে সমৃদ্ধির জন্য সুপ্রসিদ্ধ। এখানকার উৎপাদিত ফসলগুলির মধ্যে বাসমতী চাল বিশেষ উল্লেখযোগ্য। ভারতের কৃষকদের এক তৃতীয়াংশ এই সমভূমি অঞ্চলেই বাস করেন। দিল্লি, হরিয়ানা ও উত্তরপ্রদেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে এলাহাবাদের পবিত্র হিন্দু তীর্থ ত্রিবেণী সঙ্গমে ১,৩৭৬ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করার পর গঙ্গা নদীর সঙ্গে মিলিত হয়েছে যমুনা। এখানে নদীর মধ্যভাগে একটি উচ্চ মঞ্চে অবস্থিত তীর্থক্ষেত্রে তীর্থযাত্রীরা নৌকাযোগে পূজা দিতে যান। প্রতি বারো বছর অন্তর সঙ্গমের ঘাটগুলিতে কুম্ভমেলা আয়োজিত হয়। এই সময় পূণ্যার্থীরা নদীতে স্নান করেন।
কত বছর অন্তর সঙ্গমের ঘাটগুলিতে কুম্ভমেলা আয়োজিত হয়?
{ "text": [ "বারো বছর" ], "answer_start": [ 1417 ] }
1576
null
১৯২১ সালের ১৬ জুলাই, ২৪ বছর বয়সী সুভাষচন্দ্র বসু, ইংল্যান্ড থেকে ফিরে ভারতের বোম্বেতে পাড়ি দেন এবং অবিলম্বে গান্ধীর সঙ্গে সাক্ষাতের আয়োজন করেন। সেসময়, ৫১ বছর বয়স্ক গান্ধী, অসহযোগ আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন, যা পূর্ববর্তী বছর ভারতের সমাজে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল এবং পরবর্তী কয়েক দশকের মধ্যে ভারতকে স্বাধীনতার পথে নিয়ে গিয়েছিল। গান্ধী বোম্বেতে অবস্থান করছিলেন এবং সেদিন বিকেলেই বসুর সাথে দেখা করতে সম্মত হন। অনেক বছর পরে এক লেখায় এই সাক্ষাতের বিবরণে লেখেন, তিনি গান্ধীকে প্রশ্নবাণে জর্জরিত করেছিলেন। তার মতে গান্ধীর লক্ষ্য অস্পষ্ট ও তা অর্জনের জন্য তার পরিকল্পনা সুচিন্তিত ছিল না। গান্ধী এবং বসু প্রথম সাক্ষাতেই আন্দোলনের উপায় সম্পর্কে ভিন্নমত পোষণ করেন। গান্ধী অহিংস আন্দোলন সম্পর্কে ছিলেন আপোষহীন। তবে বসুর মতে, ঔপনিবেশিক শক্তির বিরুদ্ধে যেকোনো উপায়ই গ্রহণযোগ্য ছিল। তারা পরিণতির প্রশ্নে ভিন্নমত পোষণ করেন। সুভাষচন্দ্র বসু একনায়কতান্ত্রিক শাসনের প্রতি আকৃষ্ট ছিলেন কিন্তু গান্ধী পরিপূর্ণভাবে এর বিরুদ্ধে অবস্থান নেন। ঐতিহাসিক গর্ডনের মতে, "গান্ধী অবশ্য বসুকে বাংলায় কংগ্রেস ও ভারতীয় জাতীয়তাবাদের নেতা সি আর দাশের পথে পরিচালিত করেন এবং তার মধ্যে বসু তার কাঙ্ক্ষিত নেতা খুঁজে পান। " দাস গান্ধীর চেয়ে বেশি নমনীয় ও চরমপন্থার প্রতি বেশি সহানুভূতিশীল ছিলেন, যা সেসময় বাংলায় বসুর মত আদর্শবাদী তরুণদের আকৃষ্ট করেছিল। দাস, বসুকে জাতীয়তাবাদী রাজনীতিতে প্রবেশ করান। বসু পরবর্তী প্রায় ২০ বছর ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। তিনি স্বরাজ পত্রিকা চালু করেন এবং বঙ্গীয় প্রাদেশিক কংগ্রেস কমিটির প্রচারের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তার গুরু চিত্তরঞ্জন দাস ছিলেন বাংলায় আগ্রাসী জাতীয়তাবাদের মুখপাত্র। ১৯২৩ সালে বসু সর্বভারতীয় যুব কংগ্রেসের সভাপতি এবং একইসাথে বঙ্গীয় প্রাদেশিক কংগ্রেসের সম্পাদক নির্বাচিত হন। তিনি চিত্তরঞ্জন দাস কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত "ফরওয়ার্ড" পত্রিকার সম্পাদক হিসেবেও কর্মরত ছিলেন। ১৯২৪ সালে চিত্তরঞ্জন দাস কলকাতার মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর বসু কলকাতা পৌরসংস্থার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করেন। ১৯২৫ সালে সুভাষচন্দ্র বসুকে গ্রেফতার করে মান্দালয়ের কারাগারে পাঠানো হয়, যেখানে তিনি যক্ষা রোগে আক্রান্ত হন। ১৯২৭ সালে কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর বসু ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক হন এবং জওহরলাল নেহেরু সঙ্গে ভারতের স্বাধীনতার লক্ষ্যে কাজ শুরু করেন। ১৯২৮ সালের ডিসেম্বরের শেষের দিকে বসু কলকাতায় ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের বার্ষিক সভার আয়োজন করেন। তার সবচেয়ে স্মরণীয় ভূমিকা ছিল কংগ্রেস স্বেচ্ছাসেবক বাহিনীর জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) হিসেবে। এর কিছুদিন পরে, সুভাষচন্দ্র বসুকে পুনরায় গ্রেফতার করা হয় এবং আইন অমান্য আন্দোলনের জন্য জেলে পাঠানো হয়। এরপর ১৯৩০ সালে তিনি কলকাতার মেয়র নির্বাচিত হন। ১৯৩০ এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে সুভাষচন্দ্র বসু ইউরোপ ভ্রমণ করেন।
16 জুলাই, 1921 সুভাষচন্দ্র বসু ইংল্যান্ড থেকে ভারতে ফিরে এসে কার সঙ্গে সাক্ষাতের ব্যবস্থা করেন?
{ "text": [ "গান্ধীর সঙ্গে" ], "answer_start": [ 110 ] }