inputs
stringlengths
8
2.28k
targets
stringlengths
2
6.41k
language
stringclasses
1 value
language_code
stringclasses
1 value
annotation_type
stringclasses
2 values
user_id
stringclasses
17 values
"একুশে বইমেলা" শিরোনামে একটি অনুচ্ছেদ রচনা করো।
আমাদের জীবনে একুশে ফেব্রুয়ারি তাৎপর্যপূর্ণ একটি দিন। এ দিনের ইতিহাস আমাদের সংগ্রামী চেতনার ইতিহাস। এ সংগ্রামী চেতনাকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য ফেব্রুয়ারি মাসজুড়ে বিভিন্ন ধরনের আয়োজন করা হয়। এর মধ্যে অন্যতম আয়োজন হলো অমর একুশে গ্রন্থমেলা। একুশে ফেব্রুয়ারিকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য বাংলা একাডেমি প্রতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসে একুশে বইমেলার আয়োজন করে থাকে। বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ফেব্রুয়ারি মাসজুড়ে এই বইমেলা চলে। বইমেলা উপলক্ষ্যে বই বিক্রেতা ও প্রকাশকরা নানা সাজে বইয়ের স্টল বা দোকান সাজিয়ে বসেন। এখানে বিভিন্ন ধরনের বইয়ের সমাহার ঘটে। বইমেলা উপলক্ষ্যে প্রচুর নতুন বইমেলায় আসে। পুরোনো লেখকদের পাশাপাশি নতুন লেখকদের বইও পাওয়া যায় এই মেলায়। প্রতিদিন বইয়ের আকর্ষণে বইপ্রেমিক মানুষেরা মেলা প্রাঙ্গণে ছুটে আসেন। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি লেখক, ভাষাবিদ ও বরেণ্য সব ব্যক্তিত্ব বইমেলায় আসেন। লেখক ও পাঠকদের আনন্দঘন এক মিলনমেলা তৈরি হয় এ মেলায়। এটি বাংলা একাডেমির একটি মহৎ উদ্যোগ ও আয়োজন। বইমেলার ফলে পাঠকেরা এক জায়গা থেকেই তাদের পছন্দের বইগুলো কিনতে পারেন। এছাড়া বই কেনার প্রতি সাধারণ মানুষের আগ্রহও তৈরি হয়। এ কারণে এই ধরনের বইমেলার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। একুশে বইমেলা আমাদের মধ্যে সাহিত্য-সংস্কৃতিবোধ জাগ্রত করে। এ বইমেলা এখন আমাদের জাতীয় চেতনার সাথে সম্পৃক্ত। ঢাকার বাইরে প্রতিবছর বইমেলার আয়োজন করে বইমেলা ও বইয়ের প্রতি সাধারণ মানুষের আগ্রহ বৃদ্ধি করা যেতে পারে।
Bengali
ben
original-annotations
98f0ae710378a0b5fe50df07cffcbde326a4d98f4f490c424be43b7f68f78f2d
ঘরের মধ্যেই ড্রাইভিং শেখা সম্ভব— কথাটি ব্যাখ্যা কর।
প্রশ্নে ঘরের মধ্যে ড্রাইভিং শেখা বলতে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি প্রযুক্তি ব্যবহার করে ড্রাইভিং প্রশিক্ষণকে বোঝানো হয়েছে। ভার্চুয়াল রিয়েলিটি প্রযুক্তিতে কম্পিউটার ও বিভিন্ন যন্ত্রপাতির সাহায্যে হুবহু গাড়ি চালানোর সময় চারপাশে থাকা শহরের পরিবেশ বা ব্যস্ত সড়কের একটি কৃত্রিম দৃশ্য তৈরি করা হয়। রাস্তায় ড্রাইভিং শেখার ক্ষেত্রে যেমন- নানা রকম দুর্ঘটনার ঝুঁকি থাকে, এক্ষেত্রে তার কোনো সম্ভাবনা নেই। কেননা ডাইভিং প্রশিক্ষণ গ্রহণকারী ভার্চুয়াল রিয়েলিটির যে পরিবেশে গাড়ি ড্রাইভিং শিখছেন সেটি মোটেই কোনো বাস্তব পরিবেশ নয়। তাই এখানে দুর্ঘটনার কোনো ঝুঁকি নেই। সুতরাং নিশ্চিতভাবে ঘরের মধ্যেই ভার্চুয়াল রিয়েলিটি প্রযুক্তি ব্যবহার করে নিরাপদে ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ নেয়া সম্ভব।
Bengali
ben
re-annotations
7efa80e3c7ddcacc2255ef269e95fa77d369533d341fcbf977aed6fda653bb2f
ব্যতিচারের সংজ্ঞা দাও।
দুটি সুসঙ্গত উৎস থেকে নিঃসৃত দুটি আলোক তরঙ্গের উপরিপাতনের ফলে কোনো বিন্দুর আলোক তীব্রতা বৃদ্ধি পায় আবার কোনো বিন্দুর তীব্রতা হ্রাস পায়। এর ফলে কোনো তলে পর্যায়ক্রমে আলোকোজ্জ্বল ও অন্ধকার অবস্থার সৃষ্টি হয়। কোনো স্থানে বিন্দু থেকে বিন্দুতে আলোর তীব্রতার এই পর্যায়ক্রমিক তারতম্যকে আলোর ব্যতিচার বলে।
Bengali
ben
original-annotations
98f0ae710378a0b5fe50df07cffcbde326a4d98f4f490c424be43b7f68f78f2d
ক্রায়োসার্জারির মাধ্যমে রক্তপাতহীন অপারেশন সম্ভব— বুঝিয়ে লেখ।
ক্রায়োসার্জারি হচ্ছে চরম ঠাণ্ডা প্রয়োগ করে অস্বাভাবিক টিস্যু ধ্বংস করার পদ্ধতি। চিকিৎসাক্ষেত্রে এটি ক্যান্সার অথবা ক্যান্সারের পূর্ব অবস্থা চিকিৎসা করার জন্য ব্যবহার করা হয়। ক্রায়োসার্জারিতে অতীব শীতল বা বরফ জমাট তাপমাত্রায় মানব শরীরের কোনো অংশের রোগাক্রান্ত কোষ বা টিস্যুসমূহকে -৪১° সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ক্রায়োপ্রোবসহ বিভিন্ন ক্রায়োজনিক এজেন্টের দ্বারা ধ্বংস করার মাধ্যমে চিকিৎসা প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়। এর সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য বা সুবিধা হলো এতে শল্য চিকিৎসার মতো কাটা-ছেঁড়া করা তথা অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন পড়ে না। এজন্যই ক্রায়োসার্জারির মাধ্যমে রক্তপাতহীন অপারেশন সম্ভব।
Bengali
ben
original-annotations
98f0ae710378a0b5fe50df07cffcbde326a4d98f4f490c424be43b7f68f78f2d
কোন আবাসস্থলে আমরা সাধারণত টোকান পাখি দেখতে পাই?
টোকান পাখিরা দক্ষিণ আমেরিকার ব্রাজিলের আমাজন রেইনফরেস্টে বাস করে।
Bengali
ben
original-annotations
50e6c1c0b3b80bf3489010ce91c9799fd9ba2052bf2a3be39592fb970cf39916
ভাজক টিস্যু কাকে বলে?
যে টিস্যুর কোষসমূহ বিভাজনের মাধ্যমে কোষের সংখ্যাবৃদ্ধি ঘটায়, ফলে উদ্ভিদাঙ্গ দৈর্ঘ্যে বা প্রন্থে বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয় সে টিস্যুই ভাজক টিস্যু। কতক ভাজক টিস্যু উদ্ভিদের মূল, কাণ্ড বা এদের শাখা-প্রশাখার শীর্ষে অবস্থিত, এদেরকে বলা হয় শীর্ষস্থ ভাজক টিস্যু। এদের বিভাজনের কারণে উদ্ভিদের কাণ্ড বা মূল এবং এদের শাখা-প্রশাখা দৈর্ঘ্যে বৃদ্ধি পায়। কতক ভাজক টিস্যু উদ্ভিদাঙ্গের পার্শ্ব বরাবর লম্বালম্বিভাবে অবস্থিত, এদেরকে বলা হয় পার্শ্বীয় ভাজক টিস্যু। পার্শ্বীয় ভাজক টিস্যুর বিভাজনের কারণে উদ্ভিদাঙ্গ প্রন্থে বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয়। উদ্ভিদের জীবনে ভাজক টিস্যুর গুরুত্ব অপরিসীম, কারণ ভাজক টিস্যু না থাকলে উদ্ভিদের দেহ গঠন ও বৃদ্ধি হতো না।
Bengali
ben
original-annotations
98f0ae710378a0b5fe50df07cffcbde326a4d98f4f490c424be43b7f68f78f2d
রীমা গত রমজানে ঢাকা থেকে সাতক্ষীরায় নানাবাড়ি বেড়াতে গেল। ওরা খেয়াল করল নানাবাড়ির সামনের নদীটি দিনের কোনো সময় পানিতে ভরা থাকে আবার কখনো পানি নিচে নেমে যায়। একদিন সে নদীর ঘাটে দাঁড়িয়ে ভরা নদী দেখছিল। সে সময়েই পাশের দোকানের টেলিভিশনে মাগরিবের আযান শুনে রীমা দৌড়ে বাড়ি গিয়ে ইফতার করতে চাইলে মা বাধা দিয়ে বললেন, আমাদের এখানে এখনও ইফতারের সময় হয়নি। এখন ঢাকার লোকজন ইফতার করবে। উদ্দীপকের দুটি স্থানের ইফতারের সময়ের ভিন্নতার কারণ বিশ্লেষণ করো।
উদ্দীপকের দুটি স্থানে ইফতারের সময়ের ভিন্নতার কারণ হলো স্থান দুটির দ্রাঘিমার ব্যবধানজনিত কারণে স্থানীয় সময়ের পার্থক্য। পৃথিবী গোলাকার এবং গ্রহটি নিজ অক্ষ বা মেরুরেখার চারদিকে পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে অনবরত আবর্তন করছে। ফলে ভূ-পৃষ্ঠের বিভিন্ন স্থান ভিন্ন ভিন্ন সময়ে সূর্যের সামনে উপস্থিত হচ্ছে। যে সময়ে কোনো স্থানের মধ্য রেখা সূর্যের ঠিক সামনে আসে অর্থাৎ ঐ স্থানে সূর্যকে ঠিক মাথার উপর দেখা যায় তখন সেখানে মধ্যাহ্ন হয় এবং ঘড়িতে ঠিক বেলা ১২টা বাজে। মধ্যাহ্ন অনুসারে দিনের অন্যান্য সময় নির্ধারণ করা হয়। সাধারণত ১ ডিগ্রি দ্রাঘিমার পার্থক্যের জন্য সময়ের পার্থক্য হয় ৪ মিনিট। সে হিসেবে কোনো স্থানে যখন বেলা ১২টা সে স্থান থেকে পূর্ব দিকে অবস্থিত কোনো স্থানের সময় প্রতি ১ ডিগ্রি দ্রাঘিমার পার্থক্যের জন্য ৪ মিনিট করে বেড়ে যাবে। আবার একইভাবে একই স্থান থেকে পশ্চিমে অবস্থিত কোনো স্থানের সময় প্রতি ১ ডিগ্রি দ্রাঘিমার পার্থক্যের জন্য ৪ মিনিট করে সময় কমে যাবে। আর একারণেই একটি দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে দ্রাঘিমার ব্যবধানে স্থানীয় সময়ের পার্থক্য ঘটে। উদ্দীপকে দেখা যায়, ঢাকা ও সাতক্ষীরা এই দুটি স্থানের ইফতারের সময়ে পার্থক্য রয়েছে। এর কারণ হলো স্থান দুটির মধ্যে দ্রাঘিমার ব্যবধানের জন্য স্থানীয় সময়ে পার্থক্য। ঢাকা থেকে সাতক্ষীরা পশ্চিম দিকে অবস্থিত হওয়ায় ঢাকার তুলনার সাতক্ষীরার স্থানীয় সময় পিছিয়ে। আর একারণেই সাতক্ষীরায় ইফতার করতে হয় ঢাকার কিছুটা পরে। সুতরাং বলা যায় ঢাকা ও সাতক্ষীরা এই দুটি স্থানের ইফতারের সময়সূচিতে ভিন্নতা হয় জায়গা দুটির মধ্যে দ্রাঘিমার ব্যবধানজনিত কারণে।
Bengali
ben
original-annotations
98f0ae710378a0b5fe50df07cffcbde326a4d98f4f490c424be43b7f68f78f2d
এই অনুচ্ছেদের জন্য একটি ধারাবাহিকতা লিখুন : আবদুল্লাহ ইবনে উমর () (আনুমানিক ৬১৪ – ৬৯৩) একজন সাহাবি এবং দ্বিতীয় খলিফা উমর ইবনুল খাত্তাবের ছেলে। তিনি হাদিস ও ফিকহের একজন বড় পণ্ডিত ছিলেন। প্রথম ফিতনার
সময় তিনি নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করেছিলেন।
Bengali
ben
re-annotations
50e6c1c0b3b80bf3489010ce91c9799fd9ba2052bf2a3be39592fb970cf39916
এই অনুচ্ছেদের জন্য একটি ধারাবাহিকতা লিখুন : ভিত্তোরিও পোজ্জো (; জন্ম: ২ মার্চ, ১৮৮৬ - মৃত্যু: ২১ ডিসেম্বর, ১৯৬৮) তুরিনে জন্মগ্রহণকারী ইতালীয় ফুটবল কোচ।
১৯৩৪ এবং ১৯৩৮ সালের বিশ্বকাপ ফুটবল প্রতিযোগিতায় পরপর দুইবার ইতালি জাতীয় ফুটবল দলকে ট্রফি জয়লাভ করার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। তিনি মেতোদো ফুটবল কৌশল পদ্ধতি উদ্ভাবন করে স্মরণীয় হয়ে রয়েছেন। অদ্যাবধি তিনিই হচ্ছেন একমাত্র কোচ যিনি দুইবার ফিফা বিশ্বকাপ জয়ের নেপথ্যে অবদান রেখেছেন।
Bengali
ben
re-annotations
50e6c1c0b3b80bf3489010ce91c9799fd9ba2052bf2a3be39592fb970cf39916
এই লেখাটি কোন গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা সম্পর্কে ? ফের্নান্দো আন্দ্রেস রাপায়িনি (; জন্ম: ২৮ এপ্রিল ১৯৭৮) হলেন একজন আর্জেন্টিনীয় পেশাদার ফুটবল রেফারি, যিনি আর্জেন্টিনীয় প্রিমেরা দিভিসিওনে রেফারি করেন। তিনি ২০১৪ সাল থেকে ফিফার রেফারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। প্রথম দক্ষিণ আমেরিকান হিসেবে রাপায়িনি ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপ
উয়েফা ইউরো ২০২০-এ ম্যাচ পরিচালনার দায়িত্ব পালন ছিলেন।
Bengali
ben
re-annotations
50e6c1c0b3b80bf3489010ce91c9799fd9ba2052bf2a3be39592fb970cf39916
"শরতের প্রকৃতি" শিরোনামে একটি অনুচ্ছেদ লিখুন।
বাংলার ঋতু বিভাজনে ভাদ্র-আশ্বিন এ দুই মাস শরৎকাল। ঝকঝকে নীল আকাশ, ঝলমলে সূর্য আর অফুরান প্রাণশক্তি নিয়ে শরতের আবির্ভাব হয়। শরতের পাগলা হাওয়া বাদল দিনের মেঘ কেটে যায়। আকাশ হয়ে উঠে নীল। আর এ নীল আকাশে হালকা তুলোর মতো ভেসে বেড়ায় সাদা মেঘের দল। আবার হঠাৎ এক টুকরো কালো মেঘ ডেকে আনে এক পশলা বৃষ্টি। পরক্ষণেই আবার ঝলমলিয়ে ওঠে রোদ্দুর। এভাবে মেঘ আর রোদ্দুরের লুকোচুরি খেলা চলে শরতের শুরুতে। অন্যদিকে বর্ষার বৃষ্টিতে গাছপালায় যে সজীবতা জাগে শরতের অরুণরাঙা আলোর স্পর্শে তা হয়ে উঠে আরও মনোমুগ্ধকর। নদীর তীরে, রেলপথের ধারে, পাহাড়ে পাহাড়ে ফুটে থাকে কাশফুল। শিউলি-মালতিরা যেন ফুটে ফুটে ক্লান্ত। কচি ধানের ডগায়, সবুজ ঘাসে মুক্তোদানার মতো শিশির জমে থাকে। মৃদুমন্দ বাতাসে কাশবনে দোলা লাগে, ঢেউ জাগে ধানের ক্ষেতে। নদীর টলমলে শান্ত জলে সাদা পাল তুলে নৌকা চলে। শরৎ নিয়ে আসে কৃষকের মনে ফসলের আশা। হেমন্তে যে ধান ঘরে উঠবে সে ধানগাছের চারাগুলো এ সময় তরতরে করে বেড়ে ওঠে। সকালের সোনারোদে ধানের শিষগুলো চকচক করে উঠে আর উজ্জ্বল হয়ে ওঠে কৃষকের চোখ। এ সময় রাত্রির আকাশ থাকে তারায় তারায় ভরা। সারা রাত ধরে চাঁদ পৃথিবীর বুকে ঢেলে দেয় জ্যোৎস্নাধারা। রাতেও মৃদুমন্দ বাতাস বয়। ঝোপঝাড়ে জোনাকিরা মশাল জ্বালে, ঝিঁ ঝিঁ পোকার ডাকে রাতের নিস্তব্ধতা গাঢ় হয়ে ওঠে আর দূর থেকে ভেসে আসে রাতজাগা পাখির ডাক। শরতের সামগ্রিক রূপ তাই বড় কোমল, স্নিগ্ধ আর মনোরম। মানুষের মনেও এর প্রভাব পড়ে। শরতের তাই কেবলই বেরিয়ে পড়ার হাতছানি। পেজা তুলোর মেঘে ভেসে যাওয়া নীলাকাশ, সবুজ তেপান্তর, শিশির ভেজা ঘাস, ঝরা শিউলি, কচি ধানের শিষ, পাখির কলকাকলি প্রভৃতি প্রকৃতিতে এ শান্ত-স্নিগ্ধ সৌন্দর্য ঢেলে দেয়। এ অবস্থায় মন ঘরে আর বন্দি থাকতে চায় না। শরৎ ছুটির ঋতু, অবকাশের ঋতু।
Bengali
ben
original-annotations
98f0ae710378a0b5fe50df07cffcbde326a4d98f4f490c424be43b7f68f78f2d
নিচের বাক্যটি কি সম্পর্কে? উত্তাল সমুদ্র ঢেউ তীরে আছড়ে পড়তে থাকে, যা দেখে মনে হয় ঝড় আসছে
ঝড় আসছে এই সংক্রান্ত
Bengali
ben
original-annotations
50e6c1c0b3b80bf3489010ce91c9799fd9ba2052bf2a3be39592fb970cf39916
সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সরকারের করণীয় কী কী?
একটি রাষ্ট্রে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সরকারের ভূমিকা ব্যাপক ও বিস্তৃত। সরকারের মাধ্যমেই রাষ্ট্রের ইচ্ছা-অনিচ্ছা প্রকাশিত হয়। সুশাসন প্রতিষ্ঠায় প্রথমত সরকারকেই স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতামূলক পরিবেশ তৈরি করতে হবে । কারণ স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতামূলক শাসন ব্যবস্থা ব্যতিরেকে সুশাসন কল্পনা করা যায় না। শাসক তথা সরকারের মধ্যে যখন আমরা স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার মনোভাব দেখতে পাব তখনই আশা করব তাদের দ্বারা সুশাসন প্রতিষ্ঠা সম্ভব। আর এ স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা সরকারের আইন, শাসন ও বিচার বিভাগে থাকতে হবে এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার জন্য সরকারের সক্ষমতা বাড়াতে হবে। সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সরকারকে অবশ্যই দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করতে হবে। বিশ্বজুড়ে দুর্নীতি আজ উন্নয়ন ও সুশাসনের পথে একটি প্রধান বাধা। দুর্নীতির কারণে অর্থনৈতিক উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে, সাথে সাথে বাড়ছে রাজনৈতিক ও সামাজিক অস্থিরতা। সাম্প্রতিককালে দাতা দেশ ও সংস্থাসমূহ বৈদেশিক সাহায্য ও ঋণদানের জন্য যেসব শর্ত আরোপ করছে তার মধ্যে সুশাসন অন্যতম। তাই বলার অপেক্ষা রাখে না যে, দুর্নীতি রোধ ছাড়া সুশাসনের পথ প্রশস্ত করার কোনো উপায় নেই। সুশাসন নিশ্চিত করতে হলে দেশ থেকে দারিদ্র্য বিমোচনের জন্য সরকারকে সর্বাত্মক উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। কেননা ক্ষুধার রাজ্যে সবকিছু গদ্যময় মনে হয়। দারিদ্র্য শুধু দেশকে সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক দিক দিয়ে পিছিয়ে দেয় না, রাষ্ট্রে জনগণের নৈতিক মানবিক অবক্ষয়েরও কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার, শিল্পায়নের মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নয়ন সাধন করে দেশকে দারিদ্র্য বিমোচন করা প্রয়োজন। সুশাসন নিশ্চিত করতে হলে দেশ থেকে দারিদ্র্য বিমোচনের জন্য সরকারকে সর্বাত্মক উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। কেননা ক্ষুধার রাজ্যে সবকিছু গদ্যময় মনে হয়। দারিদ্র্য শুধু দেশকে সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক দিক দিয়ে পিছিয়ে দেয় না, রাষ্ট্রে জনগণের নৈতিক মানবিক অবক্ষয়েরও কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার, শিল্পায়নের মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নয়ন সাধন করে দেশকে দারিদ্র্য বিমোচন করা প্রয়োজন। সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সরকারকে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে। পৃথিবীর যেকোনো সভ্য দেশের শাসনব্যবস্থায় বিচার বিভাগের স্বাধীনতা থাকা উচিত। একটি দেশের সুশাসন নিশ্চিত করতে যুগোপযুগী স্বাধীন বিচার ব্যবস্থার কোনো বিকল্প নেই। সুশাসন প্রতিষ্ঠায় গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিতকরণ সরকারের দায়িত্ব। সুশাসন প্রতিষ্ঠায় অবাধ তথ্যপ্রবাহ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর এ তথ্যপ্রবাহ চলমান রাখতে গণমাধ্যমের ভূমিকা অপরিসীম। গণমাধ্যম যেমন— রেডিও, টেলিভিশন, সংবাদপত্র ইত্যাদি যেন স্বাধীন মতামত প্রকাশ, নানা ধরনের দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতি এবং অসংগতি প্রকাশে কোনো হুমকি বা বাধার মুখে না পড়ে, তা নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব। সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সরকারকে প্রশাসনিক তথা আমলাতান্ত্রিক জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা প্রয়োজন। অনিয়ন্ত্রিত আমলাতন্ত্র যেমন গণতন্ত্রের প্রতি হুমকিস্বরূপ তেমনি সুশাসনের একটি বড় অন্তরায়। তাই সুশাসন নিশ্চিতকল্পে আমলাতান্ত্রিক জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সরকারকে সাংবিধানিক উপায়ে ক্ষমতা হস্তান্তর করা প্রয়োজন। আর এর জন্য অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশনকে সার্বিক সহযোগিতা করা সরকারের দায়িত্ব। এছাড়াও আইনের শাসন ও মানবাধিকার নিশ্চিতকরণ, সরকারের দক্ষতা বৃদ্ধি, জনগণের অংশগ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি ইত্যাদির মাধ্যমে সরকার সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে পারে।
Bengali
ben
original-annotations
98f0ae710378a0b5fe50df07cffcbde326a4d98f4f490c424be43b7f68f78f2d
অনুগ্রহ করে নিম্নলিখিত প্রসঙ্গের উপর ভিত্তি করে একটি প্রশ্ন তৈরি করুন যার উত্তর হল "ঈশ্বরাম্মা" | প্রসঙ্গ : সত্য সাই বাবার পূর্ব জীবনের প্রায় সমস্ত তথ্য তাঁর চারিদিকে সৃষ্ট হেগিয়োগ্রাফি, এবং ভক্তদের জন্য বিশেষ মহত্ব থাকা এবং ভক্তদের সত্য সাই বাবার 'দিব্য' হওয়ার প্রমাণ বলে বিশ্বাস করা প্রবাদ থেকে গ্রহণ করা।এই উৎসসমূহের মতে, সত্য সাই বাবার জন্ম তখনকার ব্রিটিশ ভারতের মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সির পুত্তপর্থিতে মীচারাগাণ্ডা ঈশ্বরম্মা এবং পেড্ডাভেংকামা রাজু রত্নাকরমের গৃহে হয়েছিল। তাঁর মা ঈশ্বরাম্মার ঐশ্বরিক বলে বিশ্বাস করা, সত্য সাই বাবার জন্মকে অনেকে অলৌকিক ঘটনায় পূর্ণ বলে বিশ্বাস করেন।
সত্য সাই বাবার মায়ের নাম কী ?
Bengali
ben
re-annotations
50e6c1c0b3b80bf3489010ce91c9799fd9ba2052bf2a3be39592fb970cf39916
এই অনুচ্ছেদের জন্য একটি ধারাবাহিকতা লিখুন এম. এম. নজরুল ইসলাম বরিশালের কাশিমপুর হাইস্কুল ও চরফ্যাশনের দুলারহাট হাইস্কুলে শিক্ষকতা করেছিলেন। পরবর্তীতে, তিনি চরফ্যাশন টি. বি. মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদে যোগদান করেছিলেন। ১৯৬৮ সালে তিনি চরফ্যাশন কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক হিসেবে নিযুক্ত হন। তিনি
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন সংগঠক ছিলেন।
Bengali
ben
re-annotations
50e6c1c0b3b80bf3489010ce91c9799fd9ba2052bf2a3be39592fb970cf39916
আলু ভাজার পদ্ধতি ব্যাখ্যা কর
জল দিয়ে আলু পরিষ্কার করুন, তাদের উপর কোন ময়লা মুছে ফেলুন। একটি ফ্রাইং প্যানে তেল যোগ করুন এবং এটি গরম করুন। আলুর খোসা ছাড়িয়ে নিন। ছোট ছোট টুকরো করে কেটে নিন। কাটা টুকরোগুলো আবার পানি দিয়ে পরিষ্কার করুন। ফ্রাইং প্যানে মশলা এবং আলু যোগ করুন এবং আলু সোনালি বাদামী হওয়া পর্যন্ত ভাজুন। লবণ যোগ করুন এবং পরিবেশন করুন।
Bengali
ben
original-annotations
50e6c1c0b3b80bf3489010ce91c9799fd9ba2052bf2a3be39592fb970cf39916
নিম্নলিখিত বাক্যাংশটি সম্পূর্ণ করুন: কমলেশ কুমারী যাদব ছিলেন কেন্দ্রীয় রিজার্ভ পুলিশ বাহিনীর (সিআরপিএফ) একজন কনস্টেবল এবং শান্তির সময় ভারতের সর্বোচ্চ বীরত্বের পুরস্কার অশোকচক্রের প্রাপক। ২০০১ সালের ১৩ ডিসেম্বর
ভারতীয় পার্লামেন্টে হামলার সময় সন্ত্রাসবাদী বন্দুকধারীরা এবং সন্ত্রাসবাদী আত্মঘাতী বোম্বারকে সংসদে পৌঁছানো থেকে সফলভাবে বাধা দেওয়ার পরে কমলেশ কুমারী দেশের জন্য শহীদ হন।
Bengali
ben
re-annotations
50e6c1c0b3b80bf3489010ce91c9799fd9ba2052bf2a3be39592fb970cf39916
কাজী নজরুল ইসলাম রচিত অনেক বই নিষিদ্ধ ও বাজেয়াপ্ত করা হয়। এ বিষয়ে বিস্তারিত বলো।
কাজী নজরুল ইসলাম রচিত প্রায় ৫০টি গ্রন্থের মধ্যে ১০টি গ্রন্থ বাজেয়াপ্তের জন্য চিহ্নিত হয়। পাঁচটি গ্রন্থ (যুগবাণী, বিষের বাঁশী, ভাঙার গান, প্রলয় শিখা ও চন্দ্রবিন্দু) বাজেয়াপ্ত হয় এবং আর পাঁচটি গ্রন্থ (অগ্নি-বীণা, সঞ্চিতা, ফণীমনসা, সর্বহারা ও রুদ্রমঙ্গল) নিষিদ্ধ হওয়ার প্রক্রিয়াধীন ছিল, কিন্তু বাজেয়াপ্ত হয়নি। শুধু তা-ই নয়, এ ১০টি গ্রন্থ ছাড়াও কবির প্রায় ২৫টি গ্রন্থের দ্বিতীয় সংস্করণ (১৯৪২-১৯৪৫) প্রকাশিত হয়নি। নজরুলের বাজেয়াপ্ত করা এবং বাজেয়াপ্তের জন্য সুপারিশ করা প্রায় নয়টি গ্রন্থেরই প্রকাশক এবং ক্ষেত্রবিশেষে মুদ্রকও ছিলেন স্বয়ং নজরুল।
Bengali
ben
original-annotations
98f0ae710378a0b5fe50df07cffcbde326a4d98f4f490c424be43b7f68f78f2d
ম্যাগনেটিক রেসোনেন্স ইমেজিং (MRI) কী ? বিশদে লেখো |
আধুনিক কালের চিকিৎসা-বিজ্ঞানে ম্যাগনেটিক রেসোনেন্স ইমেজিং (সংক্ষেপে বলা হয় এম আর আই) পদ্ধতির প্রয়োগ বিশাল পরিসরে। ক্লিনিক্যাল নি্উরোলজি থেকে শুরু করে, কার্ডিওলজি, ক্যানসার, সফট টিসুর ক্ষতি, মৌলিক বিজ্ঞানে মস্তিষ্কের ক্রিয়া অথবা ক্যানসারের বৃদ্ধি সব ক্ষেত্রেই এম আর আই-এর গুরুত্ব অপরিসীম। বর্তমানে আমাদের ডাক্তার বন্ধুরা সঠিকভাবে রোগ নির্ণয় করার জন্যে এম আর আই-পদ্ধতির সাহায্য নিয়মিত নিয়েই থাকেন। ফলত যেকোনো আধুনিক চিকিৎসাকেন্দ্রে চোখ খোলা রাখলেই দেখা যাবে, এদের অবস্থান। ২০২১ সালে দাঁড়িয়ে এম আর আই-এর এই যে উপযোগিতা, বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তির এই যে গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োগ, তার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয়েছিল আজ থেকে বহু দশক আগে। সময়টা ছিল গত শতাব্দীর ঠিক মাঝামাঝি, আরও নির্দিষ্ট করে বললে চল্লিশের দশকের প্রথম দিক। সারা পৃথিবীতে চলছে তখন চরম অশান্তি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কাল। সেই সময়ই আমেরিকার স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে অধ্যাপক ফেলিক্স ব্লক -এর তত্ত্বাবধানে চলছে অনেক গবেষণা, চলছে চেষ্টার পরে চেষ্টা, চলছে যুক্তি-তর্কের খেলা। উদ্দেশ্য নিউক্লিয়ার ম্যাগনেটিক রেসোনেন্স (সংক্ষেপে বলা হয় এন এম আর) কে পরীক্ষাগারে বাস্তবায়িত করা। ব্লক-এর মূল বক্তব্য ছিল: আমরা যদি এই পরীক্ষায় সফলতা না পাই, তাহলে সারা পৃথিবীর বিজ্ঞান-মহল হাসবে। কারণটা ছিল অতি পরিষ্কার। সেই সময়ের প্রায় দুই দশক আগেই ইলেকট্রন স্পিনের ধারণা এবং ইলেকট্রন স্পিনেরও যে ম্যাগনেটিক মোমেন্ট আছে তা প্রমাণিত স্তারন গারলার পরীক্ষার মাধ্যমে। স্পিন একটি জটিল ধারণা সেই বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। তবে খুব সহজ করে বললে কোয়ান্টাম বলবিজ্ঞান তত্ত্ব অনুযায়ী স্পিন মানে যেকোনো বস্তুর মৌলিক কণার অন্তর্নিহিত কৌণিক ভরবেগ। মৌলিক কণার স্পিনকে আমরা চোখে দেখতে পাইনা, কিন্তু তার অস্তিত্ব বিভিন্ন পরীক্ষার মাধ্যমে যাচাই করা যায়। সময়ের সাথে এও প্রমাণিত হয়েছে কিছু নিউক্লিয়াসও ধারণ করে স্পিন ও ম্যাগনেটিক মোমেন্ট। ইতিমধ্যেই বিজ্ঞানীমহলের এক অংশ এন এম আর-এর পরীক্ষাগারে সম্ভাবনা নিয়ে তত্ত্ব দিয়ে ফেলেছেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের জন্যে প্রযুক্তি অনেক উন্নত হয়েছে, মূলত বেতার কম্পাঙ্ক সম্পর্কিত প্রযুক্তি। অনেকের চেষ্টার কোনো ত্রুটি ছিল না, কিন্তু একটা কারণে অথবা অন্য কারণে, সফলতা আসছিল না। অবশেষে সুদিন এলো। ব্লক সফলতার সাথে প্রথম এন এম আর-এর সিগন্যাল দেখতে পেলেন, সময়টি ১৯৪৫ সালের ডিসেম্বর মাস, যে নমুনাটি নিয়ে তাঁরা পরীক্ষা করেছিলেন তা ছিল প্যারাফিন, এবং তাঁরাই প্রথম প্রোটন এন এম আর করলেন। তাদের সেই কাজ ১৯৪৬ সালের ফিসিক্যাল রিভিউ জার্নালে-এ প্রকাশিত হয়। এখানে উল্লেখ্য যেহেতু ফেলিক্স ব্লক জন্মসূত্রে ছিলেন একজন জিউ, হিটলারের জার্মানি থেকে তিনিও কিন্তু চলে যেতে বাধ্য হয়েছিলেন, ভিড় করেছিলেন আমেরিকাতে। আজকাল অনেকেই তর্কের খাতিরে বলে থাকেন, বর্তমানে আমেরিকার এই যে উন্নতি, বিশেষত তথ্য-প্রযুক্তির ক্ষেত্রে তাদের যে হই-হই দশা, তার জন্যে কিছুটা নাকি জার্মানরাই দায়ী। সেই সময়ে হিটলারের অসয্য-সব আচরণের ফল-স্বরূপ বহু গুণী ব্যক্তিই ইউরোপ ছেড়ে আমেরিকার পথে হেটেছিলেন। তবে ব্লক একা নয়, আমেরিকার ঠিক আর একটি প্রান্তে, মজার ব্যাপারটি হল ঠিক একই সময়ে, এডওয়ার্ড পারসেল নামক আর এক বিজ্ঞানী হারভারড বিশ্ববিদ্যালয়ে এন এম আর সিগন্যাল দেখতে পেলেন। ব্লক ও পারসেল তাঁদের এই যুগান্তকারী সৃষ্টির জন্যে, ১৯৫২ সালে নোবেল পুরস্কার পান। ১৯৪৫ সালের এই আবিষ্কারের ঠিক কিছু বছর পরেই কোলকাতাতে অধ্যাপক মেঘনাদ সাহার তত্ত্বাবধানে তারাপদ দাস ও এন এম আর সিগন্যাল দেখে ফেললেন। খুব ভুল না হলে সময়টা হবে ১৯৫২-১৯৫৩ সাল। পরে অবশ্য অধ্যাপক দাস আমেরিকাতে চলে যান, আর সেখানেই থেকে যান শুধু একটা বছর হয়ত তারপরে দেশে ছিলেন। কোনো একটা লেখায় পড়েছিলাম, অধ্যাপক মেঘনাদ সাহা নাকি অধ্যাপক দাসকে তাঁর আমেরিকা ভ্রমণের আগে বলেছিলেন, সালটা ১৯৫৪-১৯৫৫ এর কাছাকাছি হবে, তুমি দেশে ফিরে এসে এই এন এম আর সংক্রান্ত গবেষণাকে প্রসারিত করো। পরবর্তীকালে ইতিহাস সাক্ষী থেকেছে এন এম আর-এর উন্নতির চাকা সারা বিশ্বব্যাপী আর থেমে থাকে নি। যদিও মূলনীতি ও আবিষ্কার পদার্থবিদদের থেকেই এসেছিল, এরপরে রসায়ন, জীববিদ্যা বিভাগে এন এম আর এর প্রয়োগ একেবারে ছাপিয়ে গেল। সময়ের সাথে সাথে এই তত্ত্ব ও নীতির ওপর ভিত্তি করেই সৃষ্টি করা হল "নিউক্লিয়ার ম্যাগনেটিক রেসোনেন্স ইমেজিং" করার পদ্ধতি এবং যন্ত্রপাতি। বর্তমানে বিভিন্ন রোগ নির্ণয় করার জন্যে এই যন্ত্রের প্রয়োগ অনস্বীকার্য। কিন্তু চিকিৎসা-বিজ্ঞানের বড় মাথাদের নিউক্লিয়ার শব্দটি ঠিক পছন্দ হল না। কারণ নিউক্লিয়ার মানেই কেমন একটা বিনাশের গন্ধ, কেমন একটা যুদ্ধের আভাস। তাই পরিস্থিতির চক্রে বর্তমানে এই পদ্ধতিটি এম আর আই বা ম্যাগনেটিক রেসোনেন্স ইমেজিং হিসেবেই আমাদের কাছে পরিচিত।
Bengali
ben
original-annotations
5f3397f86a04bd591aaa77ca39eb85f0ac496637fe5770a290252b66359205ad
সুপ্র্ভাত অনেক দিন পর দেকছি তোকে কেমন আছিস? পড়াশোনা কিরকম চলছে ?
সুপ্র্ভাত আমি ভালো আছি তুই কেমন আছিস ? আমার পড়াশোনা ভালোই চলছে, সামনের মাসে পরীক্ষা আছে
Bengali
ben
original-annotations
50e6c1c0b3b80bf3489010ce91c9799fd9ba2052bf2a3be39592fb970cf39916
"বাংলা নববর্ষ" শিরোনামে একটি অনুচ্ছেদ রচনা করো।
পয়লা বৈশাখ হলো বাঙালির নববর্ষ উদযাপন-উৎসব। বাংলাদেশে এই উৎসব খ্রিষ্টীয় এপ্রিল মাসের ১৪ তারিখে পালিত হয়। এটি বাংলাদেশের একটি জাতীয় উৎসব। ধর্ম-বর্ণ-গোত্র নির্বিশেষে প্রবল উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে সকল বাঙালি এই উৎসব পালন করে থাকে। সে হিসেবে এটি বাঙালির একটি সর্বজনীন লোক উৎসব। একটি অসাম্প্রদায়িক ও বাঙালি জাতীয়তাবাদভিত্তিক দেশ গঠনে পয়লা বৈশাখের ভূমিকা রয়েছে। ইতিহাস থেকে জানা যায়, সম্রাট আকবরের সময় (১৫৫৬ খ্রি.) থেকে বাংলা সনের গণনা শুরু হয়। সম্রাট আকবরের নির্দেশে জ্যোতির্বিদ ফতেহউল্লাহ সিরাজি বাংলা সনের প্রবর্তন করেন। পরবর্তীতে জমিদার ও নবাবেরা নববর্ষে পুণ্যাহের আয়োজন শুরু করেন। নববর্ষে সারাদেশের সাধারণ মানুষ হালখাতা, বৈশাখী মেলা এবং বিভিন্ন লোকজ মেলার আয়োজন করে। সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানট ১৯৬৭ সাল থেকে রমনার বটমূলে নববর্ষের অনুষ্ঠান আয়োজন করে আসছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ থেকেও নববর্ষ উপলক্ষ্যে মঙ্গল- শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়। নববর্ষের দিনে ছেলেরা পাজামা-পাঞ্জাবি এবং মেয়েরা নানা রঙের শাড়ি পরে ঘুরে বেড়ায়। চারদিকে এক বর্ণিল পরিবেশ তৈরি হয় । এই দিনে প্রত্যেক বাঙালি নিজের, বন্ধুর, পরিবার ও দেশের সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে।
Bengali
ben
original-annotations
98f0ae710378a0b5fe50df07cffcbde326a4d98f4f490c424be43b7f68f78f2d
এই অনুচ্ছেদের জন্য একটি ধারাবাহিকতা লিখুন : প্রথম দিকে জয়ন্ত দে কবিতা লিখতেন এবং 'আমুক' নামে একটি 'লিটল ম্যাগাজিন' প্রকাশে জড়িত ছিলেন।
বাবরি মসজিদ ধ্বংসের পরে ভারতে ১৯৯২-৯৩ সালে ঘটিত দাঙ্গার পরে অনুভব করেন যে, কবিতা লেখায় তিনি মনঃস্থির করতে পারবেন না, তাই ছোট গল্প লেখা শুরু করেন। তাঁর প্রণীত ছোটগল্প পেন্ডুলাম 'তীব্র কুঠার' ম্যাগাজিনে প্রকাশিত হয়েছিল। পেন্ডুলামে একটি পুরোনো ঘড়িকে প্রতীক হিসেবে ব্যবহার করে শহুরে ভারতীয় মানসিকতায় সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ প্রতিষ্ঠার গল্প বলা হয়েছে। ছোটগল্পটি প্রশংসিত হয়েছিল এবং বিশিষ্ট বাঙালি ঔপন্যাসিক দেবেশ রায়ের মনোযোগ আকর্ষণ করেছিল। জয়ন্ত দে-র ছোট গল্পগুলি "দেশ" ও "প্রতিক্ষণের" মতো বেশ কয়েকটি নামকরা বাংলা সাহিত্য পত্রিকায় প্রকাশিত হতে শুরু করে।
Bengali
ben
re-annotations
50e6c1c0b3b80bf3489010ce91c9799fd9ba2052bf2a3be39592fb970cf39916
এক বাক্যে উত্তর দাও যে জিহ্বা কীভাবে স্বাদ নেয়?
জিহ্বার পেরিফেরাল নার্ভাস সিস্টেমের সেন্সরি নিউরন জিহ্বার বিভিন্ন স্থানে থাকা ছোট ছোট দানার (অসংখ্য কোষ ও সূক্ষ্ম শিরা দ্বারা গঠিত স্বাদ নালিকা) মাধ্যমে বিভিন্ন বার্তা মস্তিষ্কে পাঠায় আর তা থেকে মস্তিষ্কের মাধ্যমে বিভিন্ন রকম স্বাদের অনুভূতি জন্মায়।
Bengali
ben
original-annotations
98f0ae710378a0b5fe50df07cffcbde326a4d98f4f490c424be43b7f68f78f2d
ফটোইলেকট্রিক ক্রিয়া ব্যাখ্যায় চিরায়ত তরঙ্গ তত্ত্বের সীমাবদ্ধতা আলোকপাত করো।
ফটোইলেকট্রিক ক্রিয়া ব্যাখ্যায় চিরায়ত (ক্লাসিকাল) তরঙ্গ তত্ত্বের কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। প্রথমত, চিরায়ত তরঙ্গ তত্ত্ব অনুসারে কোনো ধাতবপৃষ্ঠে আলোর পতন ও তা থেকে ইলেকট্রন নিঃসরণের জন্য সময়ের প্রয়োজন, এ সময় কয়েকদিন পর্যন্ত হতে পারে। কেননা, ধাতবপৃষ্ঠে যে আলো শক্তি আপতিত হয়, পৃষ্ঠের ইলেকট্রনগুলো সেই শক্তি শোষণ করে উত্তেজিত হয়। যখন ইলেকট্রনগুলো শক্তি শোষণ করে তাদের বন্ধ শক্তি বা তার চেয়ে বেশি শক্তি অর্জন করে তখনই ধাতবপৃষ্ঠ থেকে মুক্ত হয়। আর তার জন্য যথেষ্ট সময়ের প্রয়োজন হয়। কিন্তু ফটোইলেকট্রিক ক্রিয়া একটি তাৎক্ষণিক ঘটনা, ধাতবপৃষ্ঠে আলো আপতিত হওয়া এবং তা থেকে ইলেকট্রন নিঃসরণের মধ্যে কোনো লম্বা সময় বিলম্বন নেই। আলো পড়ামাত্রই ইলেকট্রন নির্গত হয়। সুতরাং, ফটোইলেকট্রিক ক্রিয়ার এ ধর্মটি চিরায়ত তরঙ্গ তত্ত্ব দ্বারা ব্যাখ্যা করা যায় না। দ্বিতীয়ত, চিরায়ত তরঙ্গ তত্ত্ব থেকে আমরা জানি যে, নিঃসৃত ইলেকট্রনের প্রাথমিক বেগ তথা গতিশক্তি আলোর তীব্রতার ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু ফটোইলেকট্রিক ক্রিয়ার পরীক্ষালব্ধ ফলাফল হতে আমরা জানি যে, নিঃসৃত ইলেকট্রনের প্রাথমিক গতিশক্তি আলোর তীব্রতার ওপর নির্ভরশীল নয় বরং এটা আলোর কম্পাঙ্কের ওপর নির্ভরশীল। সুতরাং পরীক্ষালব্ধ এই ফলটিকেও চিরায়ত তরঙ্গ তত্ত্বের দ্বারা ব্যাখ্যা করা যায় না। তৃতীয়ত, চিরায়ত তরঙ্গ তত্ত্ব অনুসারে আলোর তীব্রতা বাড়ালে ফটোপ্রবাহ বাড়ে। এ ক্ষেত্রে চিরায়ত তরঙ্গ তত্ত্ব পরীক্ষালব্ধ ফলের সাথে একমত। পরিশেষে, যেকোনো ধাতুর বেলায় তার সূচন কম্পাঙ্কের চেয়ে আপতিত আলোর কম্পাঙ্ক বেশি না হলে ইলেকট্রন নিঃসৃত হয় না। এ সূচন কম্পাঙ্কের অস্তিত্ব চিরায়ত তরঙ্গ তত্ত্ব দ্বারা ব্যাখ্যা করা যায় না। চিরায়ত তরঙ্গতত্ত্ব অনুসারে বরং আপতিত আলোর একটা ন্যূনতম তীব্রতা থাকার কথা। যে তীব্রতার চেয়ে কম তীব্রতার আলো আপতিত হলে ইলেকট্রন নির্গত হবে না। সুতরাং ফটোইলেকট্রিক ক্রিয়ার পরীক্ষালব্ধ ফলাফল চিরায়ত তরঙ্গ তত্ত্ব ব্যাখ্যা করতে অসমর্থ।
Bengali
ben
re-annotations
6e778d7e8aa512883c877966afe48e4a51d98ebb8e51e7b6143f45d86d9afd8c
একটি তারের রোধ নির্ভর করে কোন উপাদানের উপর
একটি তারের রোধ নির্ভর করে তারের দৈর্ঘ্য, তারের পুরুত্ব, তারের উপাদান এবং তারের প্রতিরোধ ক্ষমতার উপর।
Bengali
ben
original-annotations
50e6c1c0b3b80bf3489010ce91c9799fd9ba2052bf2a3be39592fb970cf39916
অনুগ্রহ করে এই অনুচ্ছেদের জন্য একটি ধারাবাহিকতা লিখুন : হিন্দ ইয়ারমুকের যুদ্ধে
যোগদান করেন এবং যুদ্ধের ময়দানে মুসলিম সৈনিকদের রোমানদের বিরুদ্ধে উত্তেজিত করার জন্য কবিতা আবৃত্তি করেন।
Bengali
ben
re-annotations
50e6c1c0b3b80bf3489010ce91c9799fd9ba2052bf2a3be39592fb970cf39916
ভাবসম্প্রসারণ করো: "ঘুমিয়ে আছে শিশুর পিতা সব শিশুদের অন্তরে"
জগৎ সংসারে আজ যারা পিতৃত্বের দাবিদার, তারা সবাই একসময় শিশু ছিল। কাজেই আজকের শিশুই আগামী দিনের দায়িত্বশীল পিতা। শিশুই জাতির ভবিষ্যৎ কর্ণধার। প্রত্যেক শিশুর মধ্যে ভবিষ্যৎ দেশ, জাতি ও রাষ্ট্রের নেতৃত্বের প্রতিভা সুপ্ত রয়েছে। এ সুপ্ত প্রতিভার বিকাশ সাধন হলে প্রতিটি শিশু জাতির কর্ণধারের ভূমিকা পালন করতে পারে। শিশুরাই প্রত্যেক পরিবার, সমাজ ও জাতির ভবিষ্যৎ। জাতি আশা করে, আজকের শিশু সার্বিক গুণে গুণান্বিত হয়ে দেশের আদর্শ নাগরিক হবে। প্রতিটি শিশুর মধ্যে নিহিত আছে বিপুল সম্ভাবনা। কারণ শিশুরাই বড় হয়ে একদিন সমাজ ও দেশের দায়িত্ব গ্রহণ করবে। শিশুমানসে তাদের প্রতিভা লুক্কায়িত থাকে। তাই সম্ভাবনাময় নতুন প্রজন্ম তথা শিশুদের উপযুক্তভাবে গড়ে তুলতে হবে। আর এ দায়িত্ব সর্বাগ্রে যারা পালন করবেন তারা হলেন পিতামাতা। শিশুরা অনুকূল ও উপযুক্ত পরিবেশে প্রতিপালিত হলে এবং সুশিক্ষা পেলে আদর্শ মানুষ হয়ে দেশ ও দশের সুনাম বৃদ্ধি করবে। শিশুরা দেশ ও জাতির ভবিষ্যৎ কর্ণধার হিসেবে শিশুমানসের সযত্ন গঠন দরকার। উপযুক্ত পরিবেশ ও শিক্ষার অভাবে আমাদের দেশের বহু শিশুর ভবিষ্যৎ নষ্ট হয়ে যায়। দেশ ও জাতির উন্নতির জন্য শিশুর উপযুক্ত মানসিক বিকাশের ব্যবস্থা করা সবার একান্ত কর্তব্য। শিশুরাই ভবিষ্যতে বড় হয়ে জাতিকে দিকনির্দেশনা দেবে। তাই শিশুদের প্রতি যত্ন নেওয়া প্রত্যেকের নৈতিক কর্তব্য। ভবিষ্যতে শিশুরাই আমাদের স্থানে স্থলাভিষিক্ত হয়ে কাজ করবে।
Bengali
ben
original-annotations
98f0ae710378a0b5fe50df07cffcbde326a4d98f4f490c424be43b7f68f78f2d
নিচের বাক্যের বানানগত ভুলগুলো সংশোধন করো। "আমী টোমাকে ভালোভাসি।"
"আমী টোমাকে ভালোভাসি" বাক্যটির প্রতিটি শব্দের বানানই ভুল। সঠিক বাক্যটি হবে, "আমি তোমাকে ভালোবাসি।"
Bengali
ben
original-annotations
98f0ae710378a0b5fe50df07cffcbde326a4d98f4f490c424be43b7f68f78f2d
নিম্নলিখিত বাক্যাংশটি সম্পূর্ণ করুন : মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুস সুবহান (১৯ ফেব্রুয়ারি ১৯২৯ - ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০) ছিলেন একজন বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ। তিনি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলেন। ১৯৯১ ও ২০০১ সালের নির্বাচনে তিনি পাবনা-৫ আসন থেকে দু'বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
একাত্তরে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত যুদ্ধাপরাধের সাথে তার সম্পৃক্ততার অভিযোগে বিচার চলছিলো।
Bengali
ben
re-annotations
50e6c1c0b3b80bf3489010ce91c9799fd9ba2052bf2a3be39592fb970cf39916
আমার কলেজে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে একটি আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়েছে যেখানে আমায় বক্তব্য রাখতে হবে। কী বক্তব্য রাখা যায় তার একটি খসড়া লেখ।
নিশ্চয়ই। নিচে ১৫ আগস্ট শোক দিবস উপলক্ষে একটি বক্তব্যের খসড়া দেওয়া হলো। সম্মানিত সুধী, মডারেটর এবং বিজ্ঞ বিচারক মন্ডলী আসসালামু আলাইকুম। আজ শোকাবহ ১৫ আগস্ট। জাতীয় শোক দিবস। ইতিহাসের বেদনাবিধুর ও বিভীষিকাময় এক দিন। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪১তম শাহাদাতবার্ষিকী। ১৯৭৫ সালের এইদিন অতিপ্রত্যুষে ঘটেছিল ইতিহাসের সেই কলঙ্কজনক ঘটনা। সেনাবাহিনীর কিছু উচ্ছৃঙ্খল ও বিপথগামী সৈনিকের হাতে সপরিবারে প্রাণ দিয়েছিলেন বাঙালির ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ সন্তান, স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এই নৃশংস হামলার ঘটনায় আরো যারা প্রাণ হারিয়েছিলেন তারা হলেন: বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, পুত্র শেখ কামাল, শেখ জামাল, শেখ রাসেল, পুত্রবধূ সুলতানা কামাল, রোজী জামাল, ভাই শেখ নাসের ও কর্নেল জামিল, বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে মুক্তিযোদ্ধা শেখ ফজলুল হক মনি, তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আরজু মনি, ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাত, শহীদ সেরনিয়াবাত, শিশু বাবু, আরিফ রিন্টু খানসহ অনেকে। আগস্ট মাসটি তাই বাংলাদেশের মানুষের কাছে শোকের মাসে পরিণত হয়েছে। ধানমন্ডির ঐতিহাসিক ৩২ নম্বর বাসভবনে সপরিবারে বঙ্গবন্ধু নিহত হলেও সেদিন আল্লাহর অসীম কৃপায় দেশে না থাকায় প্রাণে বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা এবং কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানা। সে সময় স্বামী ড. ওয়াজেদ মিয়ার সঙ্গে জার্মানিতে সন্তানসহ অবস্থান করছিলেন শেখ হাসিনা। শেখ রেহানাও ছিলেন বড় বোনের সঙ্গে। বাংলাদেশ ও বাঙালির সবচেয়ে হদয়বিদারক ও মর্মস্পর্শী শোকের দিন আজ। প্রতিবছর ১৫ আগস্ট আসে বাঙালির হূদয়ে শোক আর কষ্টের দীর্ঘশ্বাস হয়ে। বাঙালি জাতি আজ গভীর শোক ও শ্রদ্ধায় তার শ্রেষ্ঠ সন্তানকে স্মরণ করছে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট অতিপ্রত্যুষে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বাসভবনে কাপুরুষোচিত আক্রমণ চালায় ঘাতক দল। সে নারকীয় হামলার পর দেখা গেছে, ভবনটির প্রতিটি তলার দেয়াল, জানালার কাচ, মেঝে ও ছাদে রক্ত, মগজ ও হাড়ের গুঁড়ো ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। গুলির আঘাতে দেয়ালগুলোও ঝাঁঝরা হয়ে গেছে। চারপাশে রক্তের সাগরের মধ্যে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ছিল ঘরের জিনিসপত্র। প্রথম তলার সিঁড়ির মাঝখানে নিথর পড়ে আছেন চেক লুঙ্গি ও সাদা পাঞ্জাবি পরিহিত স্বাধীনতার মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের লাশ। তাঁর তলপেট ও বুক ছিল বুলেটে ঝাঁঝরা। পাশেই পড়ে ছিল তাঁর ভাঙা চশমা ও অতিপ্রিয় তামাকের পাইপটি। অভ্যর্থনা কক্ষে শেখ কামাল, মূল বেডরুমের সামনে বেগম মুজিব, বেডরুমে সুলতানা কামাল, শেখ জামাল, রোজী জামাল, নীচতলার সিঁড়িসংলগ্ন বাথরুমে শেখ নাসের এবং মূল বেডরুমে দুই ভাবির ঠিক মাঝখানে বুলেটে ক্ষত-বিক্ষত রক্তাক্ত অবস্থায় পড়েছিল ছোট্ট শিশু শেখ রাসেলের লাশ। লুঙ্গিতে জড়ানো শিশু রাসেলের রক্তভেজা লাশ দেখে খুনিদের প্রতি চরম ঘৃণা-ধিক্কার জানানোর ভাষা খুঁজে পান না মানবতাবাদী বিশ্বের কোনো মানুষ। এভাবেই নারকীয় পৈশাচিক হত্যাযজ্ঞের মাধ্যমে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। স্বাধীন দেশে কোনো বাঙালি তার নিরাপত্তার জন্য হুমকি হতে পারে না—এমন দৃঢ়বিশ্বাস ছিল বঙ্গবন্ধুর। সেজন্যই সরকারি বাসভবনের পরিবর্তে তিনি থাকতেন তাঁর প্রিয় ঐতিহাসিক ৩২ নম্বর ধানমন্ডির অপরিসর নিজ বাসভবনেই। বাঙালির স্বাধিকার-স্বাধীনতা আন্দোলনের সূতিকাগার এ বাড়িটি অসম্ভব প্রিয় ছিল বঙ্গবন্ধুর। এখানে থেকেই বঙ্গবন্ধু যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গড়ার কাজে সর্বশক্তি নিয়োগ করেছিলেন। সেদিন ঘাতকদের মেশিনগানের মুখেও বঙ্গবন্ধু ছিলেন অকুতোভয়। প্রশ্ন করেছিলেন, ‘তোরা কী চাস? কোথায় নিয়ে যাবি আমাকে?’ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি নাম, একটি ইতিহাস। তার জীবন ছিল সংগ্রামমুখর। সংগ্রামের মধ্যেই তিনি বড় হয়েছিলেন। ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ তত্কালীন বৃহত্তর ফরিদপুর জেলার গোপালগঞ্জ মহকুমার টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি ছাত্র অবস্থায় রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। ৫২’র ভাষা আন্দোলনে তিনি ছিলেন সংগ্রামী নেতা। শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতির মুক্তি সনদ ৬ দফার প্রণেতাও ছিলেন। ৭০’র নির্বাচনে অংশ নিয়ে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী লীগকে এদেশের গণমানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতীকে পরিণত করেন। পাকিস্তানের সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক আন্দোলন গড়ে তুলে ষাটের দশক থেকেই তিনি বাঙালি জাতীয়তাবাদের অগ্রনায়কে পরিণত হন। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ ঢাকার তত্কালীন রেসকোর্স ময়দানে লাখো জনতার উত্তাল সমুদ্রে বঙ্গবন্ধু বজ্রদৃপ্ত কণ্ঠে ঘোষণা করেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ এই ঘোষণায় উদ্দীপ্ত, উজ্জীবিত জাতি স্বাধীনতার মূলমন্ত্র পাঠ করে পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। ছিনিয়ে আনে দেশের স্বাধীনতা। জাতির ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ পুরুষ বঙ্গবন্ধুর অমর কীর্তি এই স্বাধীন বাংলাদেশ। আজও কষ্ট হয় এই ভেবে বঙ্গবন্ধুর ৬ খুনি এখনো পলাতক। এখনো অপশক্তিরা এ দেশটাকে ধ্বংসস্তুপে পরিণত করার পায়তারা চালিয়ে যাচ্ছে। আমি সরকারের কাছে আবদেন করছি যত দ্রুত সম্ভব বঙ্গবন্ধুর খুনিদের দেশে ফিরিয়ে এনে ফাঁসি কার্যকর করে দেশকে কলঙ্কমুক্ত করুন। আবারও ১৫ আগস্টে শহীদ সকলের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে শেষ করি। সবাইকে ধন্যবাদ।
Bengali
ben
original-annotations
98f0ae710378a0b5fe50df07cffcbde326a4d98f4f490c424be43b7f68f78f2d
মানুষের স্থায়ী দাঁত পড়ার পর তা আর ওঠে না কেন?
দাঁত ওঠা সংক্রান্ত ডিএনএ সংকেত নিয়ন্ত্রিত হওয়ায় পরের বার তা বন্ধ থাকে বলে আর দাঁত ওঠে না। তাছাড়া জীবনের শেষ দিকে দাঁত তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান শরীর সরবরাহ করতে না পারাও একটি কারণ।
Bengali
ben
original-annotations
98f0ae710378a0b5fe50df07cffcbde326a4d98f4f490c424be43b7f68f78f2d
পৃথিবীর ম্যাঙ্গেটিক খুঁটির কারণ কী
পৃথিবীর চৌম্বক মেরুগুলি পৃথিবীর কেন্দ্রে পদার্থের চলাচলের কারণে তৈরি হয় যা একটি শক্তিশালী চুম্বকের মতো কাজ করে এবং দক্ষিণ মেরু এবং উত্তর মেরুকে সারিবদ্ধ করে। চুম্বকের উত্তর মেরু উত্তর দিকে নির্দেশ করে কারণ পৃথিবীর চুম্বকের দক্ষিণ মেরু উত্তর দিকে নির্দেশিত
Bengali
ben
original-annotations
50e6c1c0b3b80bf3489010ce91c9799fd9ba2052bf2a3be39592fb970cf39916
নিচের প্রশ্নের উত্তর দাও। প্রশ্ন : লেব্রন জেমস কখন এন বি এ তে বাস্কেটবল খেলতে শুরু করে ?
লেব্রন জেমস ২০০৩ এন বি এ তে বাস্কেটবল খেলতে শুরু করে |
Bengali
ben
re-annotations
50e6c1c0b3b80bf3489010ce91c9799fd9ba2052bf2a3be39592fb970cf39916
মধ্যমেয়াদী অর্থায়ন বলতে কী বোঝায়?
মধ্যমেয়াদি ঋণ হলো একটি অন্তবর্তীকালীন অর্থসংস্থান ব্যবস্থা। নতুন এবং আর্থিকভাবে অসচ্ছল ও মাঝারি কারবার প্রতিষ্ঠানগুলোর মূলধন বাজার বা অন্যান্য উৎস থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থসংস্থান করা সম্ভব হয় না বলে তাদের জন্য মধ্যমেয়াদি অর্থায়ন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আবার বৃহদায়তন প্রতিষ্ঠান মূলধন বাজার ও অর্থনৈতিক প্রতিকূলতার জন্য দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়ন অনেক সময় সম্ভব হয় না বলে তারা মধ্যমেয়াদি অর্থায়নে আগ্রহী হয়ে থাকে। মোটকথা সব ধরনের কারবার প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেই মধ্যমেয়াদি অর্থায়নের গুরুত্ব রয়েছে। সাধারণ অর্থে, মধ্যমেয়াদি অর্থসংস্থান বলতে ১ থেকে ৫ বছরের জন্য সংগৃহীত ঋণকে বুঝায়। যে অর্থসংস্থানে ঋণগ্রহীতা সংগৃহীত তহবিল ১ বছরের বেশি কিন্তু ৫ বছরের কম আবার কোন কোন ক্ষেত্রে ৭ বছর বা ১০ বছর পর্যন্ত ব্যবহারের সুযোগ পায় এবং কারবারের প্রত্যাশিত নগদ প্রবাহ দিয়ে উক্ত অর্থসংস্থান বা ঋণ পরিশোধ করা হয়ে থাকে তাকে মধ্যমেয়াদি অর্থায়ন বলা হয়। এ ধরনের ঋণ সাধারণত কিস্তিতে পরিশোধ করা হয়। তাই একে কিস্তিবন্দি ঋণও বলা হয়ে থাকে।
Bengali
ben
original-annotations
98f0ae710378a0b5fe50df07cffcbde326a4d98f4f490c424be43b7f68f78f2d
নিম্নলিখিত জন্য একটি ধারাবাহিকতা লিখুন : ভর বর্ণালিবীক্ষণে
একটি ছোট অণুর আণবিক ভরকে সাধারণত একক আইসোটোপ বিশিষ্ট ভর (মনোআইসোটোপিক মাস্) হিসাবে ধরা হয়।
Bengali
ben
re-annotations
50e6c1c0b3b80bf3489010ce91c9799fd9ba2052bf2a3be39592fb970cf39916
এই লেখাটি কোন গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা সম্পর্কে ? প্রতি বছর তিনটি থেকে ছয়টি বিশেষ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়, যাতে বিজ্ঞান এবং কলা(আর্ট) পরপর আসে। তারা ইতোমধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে- "টয়লেট- মানব বর্জ্য এবং পৃথিবীর ভবিষ্যৎ ", "টোকিও আকাশ বৃক্ষের নির্মাণযজ্ঞ " এবং "টার্মিনেটর প্রদর্শনী- যুদ্ধ নাকি সহাবস্থান? রোবট এবং আমাদের ভবিষ্যৎ"। ২০১২ সালের বিশেষ প্রদর্শনী "পৃথিবীর শেষ হয়ে যাওয়ার গল্প: ৭৩টি প্রশ্ন যার উত্তর আমাদের দিতেই হবে " এর গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল টোহুকু ভূমিকম্প এবং এর প্রভাব।
টোহুকু ভূমিকম্প |
Bengali
ben
re-annotations
50e6c1c0b3b80bf3489010ce91c9799fd9ba2052bf2a3be39592fb970cf39916
লোপা টিভিতে একটি প্রামাণ্য চিত্র দেখছিল, একটি দেশের স্বৈরাচারী সরকারকে হটানোর জন্য বিরোধী দল ও জনগণ তুমুল আন্দোলন করছে এবং ঐ সরকারকে উচ্ছেদ না করা পর্যন্ত তারা রাস্তায় অবস্থান নিয়েছে। লোপা পাঠ্যবইয়ে পড়েছে স্বৈরাচারী সরকার পতনের জন্য বাংলাদেশেও গণআন্দোলন হয়েছে। পুনরায় সংসদীয় সরকার পদ্ধতি সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে এবং একটি গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে আর্থ-সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে। উদ্দীপকের শেষোক্ত বাক্যের যথার্থতা পাঠ্যপুস্তকের আলোকে বিশ্লেষণ কর।
সংবিধানে পুনরায় সংসদীয় পদ্ধতির অন্তর্ভুক্তি এবং আর্থ-সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়া বিষয়ে— উদ্দীপকে নির্দেশিত বাক্যটি যথার্থ। ১৯৯০ সালের গণআন্দোলনের কারণে সে বছরের ৬ই ডিসেম্বর জেনারেল এরশাদ পদত্যাগে বাধ্য হন। এরপর সকল দলের অংশগ্রহণে ১৯৯১ সালের ২৭শে ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশে সরকার পরিবর্তনের গণতান্ত্রিক ধারা চালু হয়। রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার থেকে সংসদীয় সরকার পদ্ধতি পুনঃপ্রবর্তন ও সংবিধানে তা অন্তর্ভুক্ত হয়। এরপর থেকে বিভিন্ন কার্যকর পরিকল্পনার মাধ্যমে অর্থনীতি, কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, চিকিৎসা, নারীর ক্ষমতায়ন, শিশু ও মাতৃ মৃত্যুহার হ্রাস, ক্রীড়াঙ্গন, প্রযুক্তি প্রতিটি ক্ষেত্রেই বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। উদ্দীপকে দেখা যায়, স্বৈরাচারী সরকার পতনের পর পুনরায় সংসদীয় সরকার প্রবর্তন হয়েছে এবং আর্থ-সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে উন্নয়ন সাধিত হচ্ছে। এখানে নব্বই পরবর্তী বাংলাদেশের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও অন্যান্য অবস্থার কথা বলা হয়েছে। বাংলাদেশে ১৯৯১ সালে গণতন্ত্র পুনর্যাত্রা করেছে। ১৯৭২ সালে বাংলাদেশে দারিদ্র্যের হার ছিল ৭০ শতাংশ। সরকারি বিভিন্ন নীতি ও কৃষক শ্রমিকসহ জনগণের সম্মিলিত চেষ্টায় বাংলাদেশে দারিদ্র্যের হার ২৪ শতাংশে নেমে এসেছে। বাংলাদেশকে ২০২১ সালের মধ্যে একটি মধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তরিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার কাজ করে যাচ্ছে। শিক্ষার হার পাকিস্তান আমলের ১৭ ভাগ থেকে বেড়ে ৬৫ ভাগে উন্নীত হয়েছে। নারীর ক্ষমতায়ন ও স্বাস্থ্যরক্ষা, শিশুদের সুরক্ষা, খাদ্য নিরাপত্তা অর্জনেও ব্যাপক অগ্রগতি হয়েছে। অতএব বলা যায়, নব্বই পরবর্তী সময়ে গণতন্ত্রের পুনর্যাত্রা শুরু হওয়ার পর নানা পরিকল্পনার মাধ্যমে বাংলাদেশ সকল ক্ষেত্রে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে।
Bengali
ben
original-annotations
98f0ae710378a0b5fe50df07cffcbde326a4d98f4f490c424be43b7f68f78f2d
সূর্যকে পরিক্রমণকালে পৃথিবীর চারটি অবস্থান থেকে ঋতু পরিবর্তনের ব্যাখ্যা পাওয়া যায়। সেগুলো হলো ২১শে জুন, ২৩শে সেপ্টেম্বর, ২২শে ডিসেম্বর ও ২১শে মার্চ। ২৩শে সেপ্টেম্বর ও ২২শে ডিসেম্বর পৃথিবীর অবস্থান বাংলাদেশের ঋতু পরিবর্তনে কী প্রভাব ফেলবে? বিশ্লেষণ কর।
২৩শে সেপ্টেম্বর ও ২২শে ডিসেম্বর পৃথিবীর অবস্থান বাংলাদেশের ঋতু পরিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে। ২৩শে সেপ্টেম্বর তারিখে নিরক্ষরেখার ওপর লম্বভাবে সূর্যরশ্মি পতিত হয় এবং দিন ও রাত সমান থাকে। এ কারণে ঐ তারিখের দেড় মাস পূর্ব ও দেড় মাস পর পর্যন্ত উত্তাপ মধ্যম ধরনের থাকে। তাই এ সময় উত্তর গোলার্ধে শরৎকাল এবং দক্ষিণ গোলার্ধে বসন্তকাল বিরাজমান থাকে। ২২ ডিসেম্বর তারিখে সূর্যের দক্ষিণায়নের শেষ দিন। অর্থাৎ এই দিনে সূর্য মকরক্রান্তি রেখায় লম্বভাবে কিরণ দেয়। ফলে সেখানে দিন বড় ও রাত ছোট হয়। তাই এ তারিখের দেড় মাস পূর্বে ও দেড় মাস পরে দক্ষিণ গোলার্ধে গ্রীষ্মকাল ও উত্তর গোলার্ধে শীতকাল বজায় থাকে। বাংলাদেশের অবস্থান পৃথিবীর উত্তর গোলার্ধে। যেহেতু ২৩শে সেপ্টেম্বর সূর্য নিরক্ষরেখার ওপর লম্বভাবে কিরণ দেয় এবং উত্তর গোলার্ধে শরৎকাল থাকে সেহেতু এ সময় বাংলাদেশে শরৎকাল বিরাজ করবে। আবার, যেহেতু ২২শে ডিসেম্বর সূর্য মকরক্রান্তি রেখার ওপর লম্বভাবে কিরণ দেওয়ায় উত্তর গোলার্ধে শীতকাল বিরাজ করে, সেহেতু এসময় বাংলাদেশে শীতকাল থাকবে। উপরের আলোচনা হতে বলা যায় যে, পৃথিবীর ২৩শে সেপ্টেম্বর ও ২২শে ডিসেম্বর অবস্থানের কারণে বাংলাদেশে যথাক্রমে শরৎকাল ও শীতকাল বিরাজ করে।
Bengali
ben
original-annotations
98f0ae710378a0b5fe50df07cffcbde326a4d98f4f490c424be43b7f68f78f2d
আকাশের রং নীল দেখায় কেন?
ধূলিকণা দ্বারা আলো বিচ্ছুরিত হলে বিচ্ছুরণের কারণে আকাশের রঙ নীল দেখায়
Bengali
ben
original-annotations
50e6c1c0b3b80bf3489010ce91c9799fd9ba2052bf2a3be39592fb970cf39916
উত্তর দাও: ছয় দফা দাবিকে বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ বলা হয় কেন?
৬ দফাতেই স্বাধীন বাংলাদেশের বীজ নিহিত ছিল বলে একে বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ বলা হয়। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৬৬ সালের ৫-৬ই ফেব্রুয়ারি লাহোরে অনুষ্ঠিত বিরোধীদলসমূহের এক সম্মেলনে যোগ দেন। সেখানে তিনি এক সংবাদ সম্মেলনে পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের অধিকার রক্ষার জন্য ৬ দফা দাবি তুলে ধরেন। এ ৬ দফাভিত্তিক কর্মসূচি বাঙালির জাতীয় চেতনার ব্যাপক জাগরণ ঘটায়। ৬ দফায় প্রত্যক্ষভাবে স্বাধীনতার কথা বলা না হলেও এ কর্মসূচি বাঙালিদের স্বাধীনতার মন্ত্রে। উজ্জীবিত করে। এ কারণেই ৬ দফাকে বাঙালির মুক্তির সনদ বলা হয়।
Bengali
ben
original-annotations
98f0ae710378a0b5fe50df07cffcbde326a4d98f4f490c424be43b7f68f78f2d
অনুগ্রহ করে নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ুন এবং প্রশ্নের উত্তর দিন | অনুচ্ছেদ ; বিশ্বজনীন অবস্থান-নির্ণায়ক ব্যবস্থা, যাকে মূল ইংরেজিতে Global Positioning System (গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম) ও সংক্ষেপে GPS (জিপিএস) নামে ডাকা হয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক ১৯৭০-এর দশকের শুরুর দিকে উদ্ভাবিত একটি প্রযুক্তি।[1] প্রথম দিকে এর প্রয়োগ ছিল পুরোপুরি সামরিক। পরে জনসাধারণের নিমিত্তে এর ব্যবহার উন্মুক্ত করা হয়। এটি একটি কৃত্রিম উপগ্রহভিত্তিক যোগাযোগ ব্যবস্থা। যেকোন আবহাওয়াতে পৃথিবী যেকোনো চলমান অবস্থান আর সময়ের তথ্য সরবরাহ করাটা এর মূল কাজ। জিপিএস এক ধরনের একমুখী ব্যবস্থা কারণ ব্যবহারকারীগণ উপগ্রহ প্রেরিত সঙ্কেত শুধুমাত্র গ্রহণ করতে পারে। প্রশ্ন : বিশ্বজনীন অবস্থান-নির্ণায়ক ব্যবস্থা প্রথম কোথায় চালু হয় ?
১৯৭০-এর দশকের শুরুর দিকে |
Bengali
ben
re-annotations
50e6c1c0b3b80bf3489010ce91c9799fd9ba2052bf2a3be39592fb970cf39916
সূর্য্য পড়াশুনা শেষ করার পর চাকরি না পেয়ে ইন্টারনেটের মাধ্যমে ঘরে বসে কাজ করে অর্থ উপার্জনের পথ বেছে নেয়। কয়েক বছরের মধ্যে সে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হয় এবং প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে। বাংলাদেশের বাস্তবতার সূর্যের কার্যক্রমের যৌক্তিকতা বিশ্লেষণ কর।
বাংলাদেশের বাস্তবতায় সূর্য্যের কার্যক্রমটি অবশ্যই যৌক্তিক। বিশ্বগ্রামের অবদানগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো কর্মসংস্থান সৃষ্টি। বিশ্বগ্রামের ফলে নতুন নতুন প্রযুক্তিনির্ভর কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে। এর অন্যতম প্রযুক্তিনির্ভর কর্মসংস্থান হলো আউটসোর্সিং। অনলাইন মার্কেট প্লেসগুলো অনেকটা ভার্চুয়াল এবং গ্লোবাল অফিসের মতো— যেখানে শারীরিকভাবে উপস্থিত না থেকেও ইন্টারনেটের মাধ্যমে রায়ার বা কাজদাতার সুনির্দিষ্ট কাজটি করার জন্য নিজের যোগ্যতার প্রমাণ দিতে হয়। সূর্য্য ইন্টারনেটের মাধ্যমে অনলাইন মার্কেট প্লেসে নিজের যোগ্যতার প্রমাণ দিয়ে বায়ারের নিকট থেকে কাজ পেতে সক্ষম হয়েছে। চাকরির জন্য যে নানা ধরনের জটিলতার সম্মুখীন হতে হয় অনলাইন মার্কেট প্লেসে সে ধরনের কোনো সমস্যা নেই। তাই নিজের যোগ্যতা দিয়ে সহজেই সেখানে কাজ পাওয়া সম্ভব। বাংলাদেশের বেকার যুবক-যুবতীরা তথ্য প্রযুক্তির প্রশিক্ষণ নিয়ে আউটসোর্সিং-এর মাধ্যমে নিজেদের স্বাবলম্বী করে তুলতে পারে । ফলে দেশের বেকার সমস্যার দ্রুত অবসান ঘটবে। সে সাথে আউটসোর্সিং খাতে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে তারা জাতীয় উন্নয়নে অবদান রাখতে সক্ষম হবে। সুতরাং একথা নিঃসন্দেহে বলা যায় যে, বাংলাদেশের বাস্তবতায় সূর্য্য একটি অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছে।
Bengali
ben
original-annotations
98f0ae710378a0b5fe50df07cffcbde326a4d98f4f490c424be43b7f68f78f2d
ভাষা আন্দোলন কীভাবে জাতীয়তাবাদের উন্মেষ ঘটায়?
ভাষা আন্দোলনের ফলে বাংলা ভাষা, ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও বাঙালির জাতিগত পরিচয়ে জাতীয় ঐক্যের সূত্রপাত হয়; যা বাঙালি জাতীয়তাবাদের উন্মেষ ঘটায়। মাতৃভাষা বাংলাকে রক্ষার চেতনা পূর্ব বাংলার জনগণকে ক্রমান্বয়ে পাকিস্তানের সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র ব্যবস্থার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক আন্দোলনে উদ্বুদ্ধ করে, যা পরবর্তীতে ভাষা আন্দোলনে রূপ নেয়। এই একতা বাঙালি জাতীয়তাবাদের উন্মেষ ঘটায়, যা পূর্ব বাংলার জনগণের অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র গঠনের পথ প্রশস্ত করে।
Bengali
ben
original-annotations
98f0ae710378a0b5fe50df07cffcbde326a4d98f4f490c424be43b7f68f78f2d
নিম্নলিখিত অনুচ্ছেদ সংক্ষিপ্ত করুন : বাংলাদেশে গুজবের ভিত্তিতে গণপিটুনি দিয়ে মানুষকে হত্যার ঘটনা নতুন নয় (ফাইল চিত্র) পুলিশ কর্মকর্তারা বলেছেন, এক মসজিদে আছরের নামাজের পর ঐ ব্যক্তি ধর্মের অবমাননা করেছেন, এমন গুজব ছড়িয়ে পড়লে শত শত মানুষ জড়ো হয়ে তাকে পিটিয়ে হত্যা করে। এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বলে পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। শত শত মানুষ জড়ো হয়ে পিটিয়ে ঐ ব্যক্তিকে হত্যা করে তার মৃতদেহে আগুন দেয়ার ঘটনাটি ঘটেছে পাটগ্রামের বুড়িমারি ইউনিয়নে। পিটিয়ে একজনকে হত্যা এবং রক্তাক্ত একটি মৃতদেহ আগুন দিয়ে পোড়ানোর ভিডিও ইতোমধ্যে সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। লালমনিরহাট জেলার পুলিশ সুপার আবিদা সুলতানা বিবিসি বাংলাকে বলছেন, "যতটুকু শুনেছি দু'জন লোক মসজিদে হোন্ডা (মোটরসাইকেল) নিয়ে নামাজ পড়তে এসেছিল। আসরের নামাজ। তো নামাজ পড়া শেষে, যে কোনো কারণেই হোক তাদের সঙ্গে মসজিদে যারা ছিল, তাদের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। ওনারা নাকি একটা শেলফে পা দিয়েছিলেন। তো সেটা নিয়ে কেউ বলছেন কোরআন শরীফের ওপর পা পড়েছে- এরকম একটা গুজব হয়তো ছড়িয়ে পড়েছে।" পুলিশ সুপার আরও বলেন, "তখন অনেক লোকজন জড়ো হয়ে যায়। সেসময় পুলিশ আসে। এর মধ্যে ইউনিয়ন পরিষদের একজন মেম্বার তাকে নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের একটা রুমের মধ্যে আটকে রাখে। পরে পুলিশ আসলে হ্যান্ডওভার করবে এরকম। পুলিশ আসার মধ্যেই অনেক লোক জড়ো হয়ে ইউনিয়ন পরিষদের গ্রিল ভেঙে বিভিন্ন দিক দিয়ে লোকজন ঢোকে। ''দুজন ছিল। তাদের একজনকে জোর করে নিয়ে যায়। ওসি একজনকে রেসকিউ করে সরিয়েছে। আরেকজনকে তারা ওইখানে পিটিয়ে মেরেছে। লাশটা তারা নিয়ে গেছে এবং আগুন দিয়েছে," বিবিসিকে বলেন পুলিশ সুপার আবিদা সুলতানা। তিনি আরও জানান, সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছেন। যে ব্যক্তিকে সেখানে হত্যা করা হয়েছে, তার পরিচয় সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু তারা এখনও জানতে পারেন নি। তবে সেই ব্যক্তির সাথে থাকা একজন, পুলিশ যাকে রক্ষা করতে পেরেছে, তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন। আরও পড়তে পারেন: বিচারহীনতার সংস্কৃতির কারণে মানুষ বিচার নিজের হাতে তুলে নিয়ে মানুষকে এভাবে পিটিয়ে মারে বলে নে করেন অপরাধ বিশেষজ্ঞরা। তৌহিদুন্নবী বলে এক ব্যক্তি বিবিসির কাছে নিজেকে নিহতের ভাই বলে দাবি করেছেন। তিনি বলেছেন, তার ভাইকে পিটিয়ে হত্যার খবর তারা প্রথমে লোকমুখে শুনেছেন। তারা বিস্তারিত জানতে পারেননি।
বাংলাদেশে লালমনিরহাট জেলার পুলিশ জানিয়েছে, পাটগ্রাম এলাকায় শত শত মানুষ একজন ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যার পর তার মৃতদেহ আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে।
Bengali
ben
re-annotations
50e6c1c0b3b80bf3489010ce91c9799fd9ba2052bf2a3be39592fb970cf39916
সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ড কোথায় অবস্থিত?
সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ড বা গঙ্গাখাত বঙ্গোপসাগরে অবস্থিত। এটি সুন্দরবনের দুবলার চর থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে প্রায় ১৪ কিলোমিটার চওড়া একটি সমুদ্র উপত্যকা। এর গড় গভীরতা প্রায় ১২০০ মিটার। এখানে প্রচুর পরিমাণে মাছ, ডলফিন, তিমি দেখতে পাওয়া যায়।
Bengali
ben
original-annotations
98f0ae710378a0b5fe50df07cffcbde326a4d98f4f490c424be43b7f68f78f2d
নিম্নলিখিত বাক্যাংশটি সম্পূর্ণ করুন: স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ঝালকাঠি সদর উপজেলার রেজাউল করিম ২৪ সদস্য বিশিষ্ট মানিক বাহিনী গড়ে তোলেন |
স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ঝালকাঠি সদর উপজেলার রেজাউল করিম ২৪ সদস্য বিশিষ্ট মানিক বাহিনী গড়ে তোলেন। কিছু স্থানীয় রাজাকার এর সহায়তায় ১৬ই জুন ১৯৭১ সালে পাক-হানাদার বাহিনী তাদের হত্যা করে। ২৭শে এপ্রিল হানাদার বাহিনী ঝালকাঠি শহরে আগুন ধরিয়ে দেয় ও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভের পরে ১৯৭২ সালের ১ জুলাই, ঝালকাঠি থানাকে বরিশাল জেলার মহকুমায় উন্নীত করা হয়। ১ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৪ সালে প্রশাসনিক সুবিধার জন্য ঝালকাঠি থানাকে বরিশাল জেলা থেকে পৃথক করে পূর্ণাঙ্গ জেলায় পরিণত করা হয়।
Bengali
ben
re-annotations
50e6c1c0b3b80bf3489010ce91c9799fd9ba2052bf2a3be39592fb970cf39916
এই অনুচ্ছেদের জন্য একটি ধারাবাহিকতা লিখুন : উগান্ডার ইতিহাস সেই সব মানুষের ইতিহাস নিয়ে গঠিত, যারা উগান্ডা প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আগে, বর্তমান সময়ের উগান্ডা অঞ্চলে বসবাস করত। এর সাথে আছে দেশটি প্রতিষ্ঠা হবার পর দেশটির ইতিহাস। পুরা প্রস্তর যুগের প্রমাণ থেকে দেখা যায় যে কমপক্ষে ৫০,০০০ বছর ধরে মানুষজন উগান্ডায় বাস করেছে। উগান্ডার বনাঞ্চল ধীরে ধীরে পরিষ্কার করা হয়েছিল কৃষকদের জন্য। তারা সম্ভবত বান্টু ভাষায় কথা বলত। ১৮৯৪ সালে, উগান্ডা ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের আশ্রিত রাজ্য হয়ে উঠে ছিল, এবং ১৯৬২ সালে ব্রিটেন উগান্ডাকে স্বাধীনতা দেয়। ১৯৭১ সালে ইদি আমিন, মিল্টন ওবোতেকে গদিচ্যুত করে উগান্ডার শাসনভার দখল করেন। ১৯৭৯ সালে
উগান্ডা-তানজানিয়া যুদ্ধের ফলস্বরূপ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার আগে পর্যন্ত তিনি এই পদে ছিলেন। একাধিক অন্যান্য নেতার পরে, ইয়োভেরি মুসেভেনি ১৯৮৬ সালে ক্ষমতায় এসেছিলেন এবং সেই সময় থেকেই তিনি উগান্ডার নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন।
Bengali
ben
re-annotations
50e6c1c0b3b80bf3489010ce91c9799fd9ba2052bf2a3be39592fb970cf39916
এক কথায় বলো যে অধ্যাদেশ কী?
যখন সংসদ অধিবেশন থাকে না অথবা সংসদ বিলুপ্ত থাকে তখন জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য রাষ্ট্রপতি যে আইন প্রণয়ন ও জারি করেন তাকে অধ্যাদেশ বলে।
Bengali
ben
original-annotations
98f0ae710378a0b5fe50df07cffcbde326a4d98f4f490c424be43b7f68f78f2d
"বর্ষণমুখর সন্ধ্যা" শিরোনামে অনুচ্ছেদ রচনা করুন।
সূর্য পশ্চিম দিকে হেলে পড়েছে কিছুক্ষণ আগেই। এখন আষাঢ় মাস; যখন তখন বৃষ্টি এসে প্রকৃতিকে গ্রাস করে নেয়। সন্ধ্যার ঠিক আগে আগে ঘনকালো মেঘ পুরো আকাশকে ছেয়ে ফেলেছে। হঠাৎ মেঘের গর্জন আর বিদ্যুতের ঝলকানি দিয়ে আকাশের গাল বেয়ে নামে বৃষ্টির ধারা। আজকের সন্ধ্যা ভীষণ অন্যরকম। চারদিকে বৃষ্টির অবিরাম ধারায় দূরের কিছু দেখা যায় না। ভেজা মাটির সোদা গন্ধ মিষ্টি অনুভূতি জাগায় মাঝে মাঝে পাখির ডানা ঝাপটানোর শব্দ আর ব্যাঙের ঘ্যাঙর ঘ্যাঙর ডাক এক অপূর্ব সুরের মিশ্রণ তৈরি করছে। বাইরের অঝোর ধারার বৃষ্টি এক অন্যরকম ভালো লাগার রেশ সৃষ্টি করে। এমন সন্ধ্যায় মন উদাস হয়ে যায়। এটি এমনই এক অনুভূতি যার নির্দিষ্ট কোনো নাম নেই, স্পষ্ট কোনো রূপ নেই। জানালার পাশে বসে রাতের ভিজে যাওয়া দেখা, ঝমঝম বৃষ্টির শব্দ, ঘরের ভিতর টিমটিমে আলো আর হালকা শীত শীত আমেজ এক মোহনীয় পরিবেশ তৈরি করে। জানালা দিয়ে দেখলাম অবিরাম বৃষ্টিতে পথের দুই ধারে পানি জমে উঠেছে। আশেপাশের ডোবা-নালাও পানিতে টইটম্বুর। বৃষ্টির ঝাপটায় গাছপালা নুয়ে পড়ছে, বাতাসের শোঁ শোঁ গর্জন অন্য সব শব্দকে আড়াল করে দিচ্ছে। ধীরে ধীরে বৃষ্টির তেজ কমে আসে; অবিরাম ধারায় বর্ষিত হওয়া বৃষ্টি একসময় পরিশ্রান্ত হয়ে যায়। আবার কর্মচঞ্চল হয়ে ওঠে চারদিক। মানুষের কোলাহল সব নিস্তব্ধতাকে ভেঙে দেয়। কিছুক্ষণের জন্য হলেও প্রকৃতির সাথে মিশে যাওয়া, তাই বা কম কীসে! সন্ধ্যার বর্ষণ একেক জনের কাছে একেক রকমভাবে ধরা দেয়। কারও কাছে এ বর্ষণ আনন্দের, আর কারও কাছে বেদনার।
Bengali
ben
original-annotations
98f0ae710378a0b5fe50df07cffcbde326a4d98f4f490c424be43b7f68f78f2d
বৃক্ষপ্রেমিক হাসান সাহেব ঠিক করলেন তার গ্রামের বিভিন্ন ধরনের উদ্ভিদের একটি তালিকা তৈরি করবেন। কিন্তু এ বিষয়ের সঠিক ধারণা না থাকায় তিনি সঠিকভাবে কাজটি করতে পারছিলেন না। এ ব্যাপারে হাসান সাহেব স্থানীয় কলেজের উদ্ভিদ বিজ্ঞানের শিক্ষকের দ্বারস্থ হলে তিনি শ্রেণিবিন্যাসের ভিত্তিতে তালিকা তৈরি করার পরামর্শ দেন। শ্রেণিবিন্যাসের ভিত্তিতে তালিকা না করলে হাসান সাহেব কী ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হবেন— বিশ্লেষণ করো।
শ্রেণিবিন্যাসের ভিত্তিতে তালিকা না করলে উদ্দীপকের হাসান সাহেব অনেক ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হবেন। শ্রেণিবিন্যাস ছাড়া গ্রামের সব উদ্ভিদকে তালিকাভুক্ত করতে তার অনেক সময় ও পরিশ্রম করতে হবে। যেখানে শ্রেণিবিন্যাসের সাহায্যে সকল উদ্ভিদকে বিজ্ঞানসম্মতভাবে অল্প পরিশ্রমে ও অল্প সময়ে তালিকাভুক্ত করা যায়। শ্রেণিবিন্যাসের ভিত্তিতে তালিকা করলে বৈশিষ্ট্যের বিচারে উদ্ভিদকে বিভিন্ন শ্রেণিতে বা পর্বে স্থান দিতে পারবে। কিন্তু সাধারণভাবে তালিকাভুক্তির ক্ষেত্রে অপরিচিত উদ্ভিদকে সহজে শনাক্ত করে স্থান দিতে পারবে না। হাসান সাহেবের গ্রামে এমন কিছু ক্ষুদ্র উদ্ভিদ পাবে যেগুলো খালি চোখে দেখা কষ্টকর। আবার এমন কিছু উদ্ভিদ পাবে যেগুলো ফুল হয় না; মূল, কাণ্ড ও পাতায় ভাগ করা যায় না; ক্লোরোফিল থাকে না ইত্যাদি। বিচিত্র বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন এসব উদ্ভিদকে তালিকাভুক্ত করতে তিনি বিশৃঙ্খলায় পড়বেন।
Bengali
ben
original-annotations
98f0ae710378a0b5fe50df07cffcbde326a4d98f4f490c424be43b7f68f78f2d
মৌলিক সংখ্যা কাকে বলে?
মৌলিক সংখ্যা হলো এমন স্বাভাবিক সংখ্যা যা ১-এর চেয়ে বড় এবং যাকে ১ এবং সেই সংখ্যা ছাড়া অন্য কোনো স্বাভাবিক সংখ্যা দ্বারা নিঃশেষে ভাগ করা যায় না। উদাহরণস্বরূপ: ১ থেকে ১০ পর্যন্ত মোট ৪টি মৌলিক সংখ্যা রয়েছে। সেগুলো হলো ২, ৩, ৫ ও ৭।
Bengali
ben
original-annotations
98f0ae710378a0b5fe50df07cffcbde326a4d98f4f490c424be43b7f68f78f2d
রীমা গত রমজানে ঢাকা থেকে সাতক্ষীরায় নানাবাড়ি বেড়াতে গেল। ওরা খেয়াল করল নানাবাড়ির সামনের নদীটি দিনের কোনো সময় পানিতে ভরা থাকে আবার কখনো পানি নিচে নেমে যায়। একদিন সে নদীর ঘাটে দাঁড়িয়ে ভরা নদী দেখছিল। সে সময়েই পাশের দোকানের টেলিভিশনে মাগরিবের আযান শুনে রীমা দৌড়ে বাড়ি গিয়ে ইফতার করতে চাইলে মা বাধা দিয়ে বললেন, আমাদের এখানে এখনও ইফতারের সময় হয়নি। এখন ঢাকার লোকজন ইফতার করবে। উদ্দীপকের রীমা নদীর পানির যে প্রতিক্রিয়া লক্ষ করেছিল তার কারণ ব্যাখ্যা করো।
উদ্দীপকের রীমা নদীর পানিতে যে প্রতিক্রিয়া লক্ষ করেছিল তার কারণ হলো জোয়ার ভাটা। চন্দ্র ও সূর্য ভূপৃষ্ঠের জল ও স্থলভাগকে অবিরাম আকর্ষণ করে। এ আকর্ষণের ফলে ভূ-পৃষ্ঠের পানি নির্দিষ্ট সময় অন্তর প্রত্যহ একস্থানে ফুলে উঠে এবং অন্যত্র নেমে যায়। এভাবে প্রত্যেক সাড়ে বারো ঘণ্টায় সমুদ্রের পানি নিয়মিতভাবে ওঠানামা করে। সমুদ্রের জলরাশির নিয়মিতভাবে এ ফুলে উঠাকে জোয়ার এবং নেমে যাওয়াকে ভাটা বলে। সমুদ্রের মধ্যভাগে পানি সাধারণত এক থেকে তিন ফুট উঁচু-নিচু হয় কিন্তু উপকূলে গভীরতা কম থাকায় সেখানে পানির স্তর এর চেয়ে অনেক বেশি উচু-নিচু হয়। এ জন্য সমুদ্রের মোহনা থেকে নদীসমূহের উজানপথে কয়েক কিলোমিটার পর্যন্ত জোয়ার-ভাটা অনুভূত হয়। উপরের আলোচনা থেকে স্পষ্ট, জোয়ার ভাটার কারণেই উদ্দীপকের রীমা তার নানাবাড়ির সামনের নদীতে একসময় পানি ভরা এবং অন্যসময় পানি নেমে যাওয়ার ঘটনা লক্ষ করেছিল।
Bengali
ben
original-annotations
98f0ae710378a0b5fe50df07cffcbde326a4d98f4f490c424be43b7f68f78f2d
ব্যাংক ঋণ কী?
ধারের শর্তসাপেক্ষে মক্কেলকে ব্যাংক প্রদত্ত নগদ অর্থ কিংবা দলিলের মাধ্যমে প্রদত্ত সুনাম ও সেবাকে ব্যাংকের ঋণ, অগ্রিম বা আগাম বলা হয়। প্রকৃতপক্ষে ব্যাংক পরের অর্থ নিয়ে কারবার করে থাকে। তাই ব্যাংকের অন্যতম কাজ হলো বিভিন্ন হিসাবের মাধ্যমে জনগণের নিকট হতে আমানত সংগ্রহ করা এবং তা হতে যথাযথ তারল্য সংরক্ষণ করে বাকি অর্থ ঋণ ও লাভজনক খাতে বিনিয়োগের মাধ্যমে মুনাফা অর্জন করা। তাই বিনিয়োগ বাদে বাকি অর্থ ধার বা ঋণ দেয়াকে ব্যাংকের ঋণ ও অগ্রিম বলে। সাধারণ অর্থে, ঋণের ব্যবসায়ী হিসেবে ব্যাংক কর্তৃক তার মক্কেলদের দেয়া যাবতীয় ধার বা ঋণকে ব্যাংকের ঋণ বলে। ব্যাপক অর্থে, ব্যাংক গ্রাহকদের নগদ অর্থ অথবা ঋণের দলিলসমূহের মাধ্যমে যে সুনাম, বিশ্বাস ও সেবাসমূহ ধার হিসেবে দিয়ে থাকে তাকে একক অথবা সামগ্রিকভাবে ব্যাংকের ঋণ বলা হয়।
Bengali
ben
original-annotations
98f0ae710378a0b5fe50df07cffcbde326a4d98f4f490c424be43b7f68f78f2d
এই অনুচ্ছেদের জন্য একটি ধারাবাহিকতা লিখুন : ২০১৬–১৭ মৌসুমে, জিদানের অধীনে রিয়াল মাদ্রিদ সর্বপ্রথম পূর্ণ মৌসুম শুরু করেছিল; তারা ২০১৬ উয়েফা সুপার কাপ জয়লাভের মধ্য দিয় তাদের এই মৌসুম শুরু করেছিল। ২০১৬ সালের ১০ই ডিসেম্বর তারিখে, রিয়াল মাদ্রিদ তাদের টানা ৩৫ ম্যাচ অপরাজিত ছিল, যেটি ক্লাবের একটি নতুন রেকর্ড ছিল। ২০১৬ সালের ১৮ই ডিসেম্বর তারিখে, রিয়াল মাদ্রিদ ২০১৬ ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের
ফাইনালে জাপানি ক্লাব কাশিমা এন্টলারকে ৪–২ গোলে পরাজিত করে। ২০১৭ সালের ১২ই জানুয়ারি তারিখে, সেভিয়ার সাথে ৩–৩ গোলে ড্র করার মাধ্যমে রিয়াল মাদ্রিদ টানা ৩৫ ম্যাচ অপরাজিত থেকেছিল, এর মাধ্যমে পূর্ববর্তী মৌসুমে বার্সেলোনার তৈরি সকল প্রতিযোগিতায় টানা ৩৯ ম্যাচ অপরাজিত থাকার রেকর্ডটি ভেঙ্গে দিয়েছিল। এর তিনদিন পর, লা লিগার এক ম্যাচে সেভিয়ার কাছে ১–২ গোলে হেরে তাদের অপরাজিত থাকার ধারাটি থেমে গিয়েছিল। একই বছরের মে মাসে, রিয়াল মাদ্রিদ ২০১৬–১৭ লা লিগা জয়লাভ করেছিল, যেটি তাদের ইতিহাসে ৩৩তম লা লিগা এবং ২০১২ সালের পর প্রথম শিরোপা ছিল। ৩রা জুন তারিখে, রিয়াল ২০১৬–১৭ উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লীগের ফাইনালে ইয়ুভেন্তুসকে ৪–১ গোলে হারিয়ে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন লীগের ইতিহাসে প্রথম দল হিসেবে এবং ইউরোপীয় প্রতিযোগিতায় ১৯৮৯ ও ১৯৯০ সালে ইন্টার মিলানের জয়ের পর প্রথম দল হিসেবে টানা ২ বার শিরোপা জয়ের গৌরব অর্জন করে। এই শিরোপাটি রিয়াল মাদ্রিদের ১২তম এবং গত ৪ বছর ২য় উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লীগ শিরোপা ছিল; এই সাফল্যকে "লা দুওদেসিমা" হিসেবে অভিহিত করা হয়েছিল। ট্রফি জয়ের দিক থেকে ২০১৬–১৭ মৌসুমটি রিয়াল মাদ্রিদের ইতিহাসে সর্বশ্রেষ্ঠ মৌসুম ছিল।
Bengali
ben
re-annotations
50e6c1c0b3b80bf3489010ce91c9799fd9ba2052bf2a3be39592fb970cf39916
মাদাগাস্কারের রাজধানীর নাম কী?
মাদাগাস্কারের রাজধানীর নাম আন্তানানারিভো। এটি মাদাগাস্কারের বৃহত্তম শহর এবং অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র।
Bengali
ben
original-annotations
98f0ae710378a0b5fe50df07cffcbde326a4d98f4f490c424be43b7f68f78f2d
এই অনুচ্ছেদ কোন গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা সম্পর্কে ? আনিসুজ্জামান (১৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৩৭ - ১৪ মে ২০২০) ছিলেন একজন বাংলাদেশী শিক্ষাবিদ, লেখক ও জাতীয় অধ্যাপক। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের ইমেরিটাস অধ্যাপক ছিলেন। তিনি ভাষা আন্দোলন (১৯৫২), উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান (১৯৬৯) ও ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। এছাড়াও বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালে কুদরাত-এ-খুদাকে প্রধান করে গঠিত জাতীয় শিক্ষা কমিশনের সদস্য ছিলেন। বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস নিয়ে তার গবেষণা সবিশেষ উল্লেখযোগ্য।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ |
Bengali
ben
re-annotations
50e6c1c0b3b80bf3489010ce91c9799fd9ba2052bf2a3be39592fb970cf39916
নিম্নলিখিত অনুচ্ছেদ সম্পূর্ণ করুন : ২০১০ সালে, ভারান ফ্রান্স অনূর্ধ্ব-১৮ দলের হয়ে ফ্রান্সের বয়সভিত্তিক পর্যায়ে অভিষেক করেছিলেন। প্রায় ৩ বছর যাবত ফ্রান্সের বয়সভিত্তিক দলের হয়ে খেলার পর, তিনি ২০১৩ সালে ফ্রান্সের হয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অভিষেক করেছেন; ফ্রান্সের জার্সি গায়ে তিনি এপর্যন্ত ৭৯ ম্যাচে ৫টি গোল করেছেন। তিনি ফ্রান্সের হয়ে এপর্যন্ত ২টি ফিফা বিশ্বকাপ (২০১৪ এবং ২০১৮) এবং
উয়েফা ইউরো ২০২০-এ অংশগ্রহণ করেছেন, যার মধ্যে ২০১৮ সালে দিদিয়ে দেশঁয়ের অধীনে ফিফা বিশ্বকাপের শিরোপা জয়লাভ করেছেন।
Bengali
ben
re-annotations
50e6c1c0b3b80bf3489010ce91c9799fd9ba2052bf2a3be39592fb970cf39916
এই অনুচ্ছেদের জন্য একটি ধারাবাহিকতা লিখুন : ডিসেম্বর ১১, ২০১৮ আলী স্ম্যাকডাউন লাইভের এপিসোডে মূল রোস্টারে আসে এবং ডাব্লিউডাব্লিউই চ্যাম্পিয়ন ড্যানিয়েল ব্রায়ান এর মুখোমুখি হয়, কিন্তু হেরে যায়। এরপরের সপ্তাহে আলী এজে স্টাইলস এর সাথে টিমআপ করে আন্দ্রাদে সিয়েন আলমাস এবং ড্যানিয়েল ব্রায়ান কে হারায়, যখন আলী ব্রায়ানকে পিন করে। এরপরের সপ্তাহে সিঙ্গেল ম্যাচে আলী আলমাস কে হারায়।. ম্যাচ শেষে ব্যাকস্টেজে ব্রায়ান আলীকে আক্রমণ করে। জানুয়ারি ২, ২০১৯ সালে স্ম্যাকডাউন লাইভের এপিসোডে আলী "ডাব্লিউডাব্লিউই চ্যাম্পিয়নশীপ" এর জন্য সামোয়া জো, এজে স্টাইলস, রেন্ডি অরটন, রে মিস্টেরিওর সাথে একটি ফেটাল-৫-ওয়ে ম্যাচে অংশ নেয়। যেটিতে এজে রেন্ডিকে পিন করে ম্যাচ জিতে। জানুয়ারি ৯ তারিখের এপিসোডে আলী মিস্টেরিওর সাথে টিমঅাপ করে সামোয়া জো এবং আন্দ্রাদে সিয়েন আলমাস এর বিরুদ্ধে ম্যাচ খেলে কিন্তু হেরে যায়। জানুয়ারি ১৬ তারিখের এপিসোডে আলী সামোয়া জোর সাথে ম্যাচ খেলতে চায় কিন্তু ম্যাচ শুরুর আগে জো তাকে আক্রমণ করলে ম্যাচটি নো কন্টেস্ট এর শেষ হয়। এরপরের সপ্তাহে সে সামোয়া জোর সাথে ম্যাচ খেলে কিন্তু সাবমিশন এর মাধ্যমে হেরে যায়। জানুয়ারি ২৮
রয়্যাল রাম্বালে আলী ১৩ নং এ প্রবেশ করে ৩০ মিনিট রিংয়ে থেকে শিনসুকে নাকামুরা এবং সামোয়া জোকে এলিমিনেট করে, কিন্তু নিয়া জ্যাক্স দ্বারা এলিমিনেট হয়ে যায়। আলীকে মূলত ডাব্লিউডাব্লিউই চ্যাম্পিয়নশিপ এর জন্য এলিমিনেশন চেম্বারে রাখা হয়েছিল। কিন্তু ইঞ্জুরির কারণে তাকে সরিয়ে কফি কিংস্টনকে দেয়া হয়। মার্চ ২, ২০১৯ এ একটি লাইভ ইভেন্টে আলী ফিরে আসে। মার্চ ১১ তারিখে আলী ফাস্টলেনে ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশীপ ম্যাচ খেলার সুযোগ পায় ড্যানিয়েল ব্রায়ান এবং কেভিন ওয়েন্স এর সাথে। কিন্তু ব্রায়ান আলীকে পিন করে তার টাইটেলটি রিটেইন করে। পরবর্তী স্ম্যাকডাউনে আলী কেভিন ওয়েন্স এর সাথে টিমআপ করে রোয়ান এবং ড্যানিয়েল ব্রায়ান এর সাথে ম্যাচ খেলে কিন্তু হেরে যায়।
Bengali
ben
re-annotations
50e6c1c0b3b80bf3489010ce91c9799fd9ba2052bf2a3be39592fb970cf39916
এই লেখাটি কোন গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা সম্পর্কে ? ১৯ শতকে: আজ আল-আমিন মসজিদটির জায়গায় একটি জাওয়াইয়া (নামাযের কোণে) নির্মিত হয়েছিল এবং শেখ আবু নসর আল-ইয়াফির নামে নামকরণ করা হয়েছিল। ১৯৫০: জাওয়াইয়াকে একটি মসজিদ প্রতিস্থাপনের জন্য মোহাম্মদ আল-আমিন সমিতি তৈরি করা হয়েছিল। ১৯৭৫: লেবাননের গৃহযুদ্ধের সূত্রপাতের পরে সৌক আবু নসর এবং জাওয়াইয়া কাজ বন্ধ করে দিয়েছিল। নভেম্বর ২০০২: প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী রফিক হারিরির অনুদানের পরে নতুন মসজিদের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করা হয়েছিল। ২০০৮: মসজিদটির উদ্বোধন। ২০২০ বৈরুত বিস্ফোরণে মসজিদটি মারাত্মক ক্ষতি করেছে।
২০২০ বৈরুত বিস্ফোরণ |
Bengali
ben
re-annotations
50e6c1c0b3b80bf3489010ce91c9799fd9ba2052bf2a3be39592fb970cf39916
মরুভূমিতে, ক্যাকটাস ওয়ার্নরা প্রায়শই শিকারীদের এড়াতে কোলা ক্যাকটাসে তাদের ঘাঁটি তৈরি করে। এই আচরণ ক্যাকটাসের ক্ষতি করে না। ক্যাকটাস ওয়ার্ন এবং কোলা ক্যাকটাসের মধ্যে কি ধরনের সম্পর্ক রয়েছে? - I. প্রতিযোগিতামূলক ২. সমবয়সীতা। ৩। পারস্পরিকতাবাদ। IV. পরজীবী।
২।
Bengali
ben
re-annotations
50e6c1c0b3b80bf3489010ce91c9799fd9ba2052bf2a3be39592fb970cf39916
এই অনুচ্ছেদের জন্য একটি ধারাবাহিকতা লিখুন : ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ ১৯৬৫তে পাকিস্তান নৌবাহিনী প্রধান ছিলেন অ্যাডমিরাল আফজাল রহমান খান, যার নেতৃত্বে
পাকিস্তান নৌবাহিনী ভারতীয় নৌবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে অবতীর্ণ হয় এবং শত্রুকে উপর্যুপরি ঘায়েল করতে সক্ষম হয়। 'অপারেশন দোয়ারকা' নামের নৌ সমরাভিযানের সাফল্যে রাষ্ট্রপতি আইয়ুব খান অনেক খুশী হয়েছিলেন এবং নৌবাহিনীর অনেক সদস্য যুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদান স্বরূপ পদক পেয়েছিলো।
Bengali
ben
re-annotations
50e6c1c0b3b80bf3489010ce91c9799fd9ba2052bf2a3be39592fb970cf39916
এই অনুচ্ছেদের জন্য একটি ধারাবাহিকতা লিখুন : সৈয়দ হক তার বাবা মারা যাবার পর অর্থকষ্টে পড়লে চলচ্চিত্রের জন্য চিত্রনাট্য লেখা শুরু করেন। ১৯৫৯ খ্রিষ্টাব্দে তিনি মাটির পাহাড় চলচ্চিত্রের চিত্রনাট্য লিখেন। পরে "তোমার আমার", "শীত বিকেল", কাঁচ কাটা হীরে, ক খ গ ঘ ঙ, বড় ভাল লোক ছিল, পুরস্কারসহ আরও বেশ কিছু চলচ্চিত্রের কাহিনী, চিত্রনাট্য ও সংলাপ লিখেন। বড় ভাল লোক ছিল ও পুরস্কার নামে দুটি চলচ্চিত্রের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের নভেম্বর মাসে বাংলাদেশ ত্যাগ করে লন্ডন চলে যান এবং সেখানে বিবিসির বাংলা খবর পাঠক হিসেবে চাকুরি গ্রহণ করেন। তিনি ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের ১৬ ডিসেম্বর
পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আত্মসর্মপণের খবরটি পাঠ করেছিলেন। পরে ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দ থেকে ১৯৭৮ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত বিবিসি বাংলার প্রযোজক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তার দৃঢ়কণ্ঠ সাবলীল উচ্চারণের জন্য তিনি জনসাধারণ্যে পরিচিতি লাভ করেন।
Bengali
ben
re-annotations
50e6c1c0b3b80bf3489010ce91c9799fd9ba2052bf2a3be39592fb970cf39916
দশ বছরের রাফী জিওগ্রাফী চ্যানেলে বাঘের হরিণ শিকারের দৃশ্য দেখে তার মন খারাপ হলো। সে বাবার কাছে জানতে চাইল এইভাবে হরিণ শিকার করলে একদিন বন হরিণশূন্য হয়ে যাবে? বাবা তাকে বললেন এটাই জীবজগতের টিকে থাকার স্বাভাবিক সিস্টেম। রাফীর মন খারাপ করার যৌক্তিক কোনো কারণ আছে কী? যুক্তিসহ বিশ্লেষণ করো।
জিওগ্রাফী চ্যানেলে বাঘের হরিণ শিকারের দৃশ্য দেখে রাফীর মন খারাপ হয়েছিল। এ ক্ষেত্রে রাফীর মন খারাপ করা অযৌক্তিক। কারণ বাস্তুতন্ত্র স্বনিয়ন্ত্রিত। উদ্দীপকের এ বাস্তুতন্ত্রটিতে বাঘের হরিণ শিকারের ফলে কখনই তা হরিণ শূন্য হয়ে পড়বেনা। হরিণ শিকারের ফলে যখন ঐ বাস্তুতন্ত্রে হরিণের সংখ্যা কমতে থাকবে তখন ঘাস বৃদ্ধি পাবে এবং অন্যদিকে খাদ্যভাবে বাঘের সংখ্যাও কমতে শুরু করবে। আবার বাঘের সংখ্যা যখন কমতে থাকবে তখন হরিণের সংখ্যা ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাবে। হরিণের সংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে পর্যাপ্ত শিকারের কারণে পুনরায় বাঘের সংখ্যাও বৃদ্ধি পেতে থাকবে। এভাবে প্রকৃতি বাস্তুতন্ত্রের উৎপাদক ও বিভিন্ন স্তরের খাদকদের নিয়ন্ত্রণ করে বাঁচিয়ে রাখে। আর একারণেই বলা হয় বাস্তুতন্ত্র স্বনিয়ন্ত্রিত। সুতরাং, এ কথা বলা যায় যে, রাফীর মন খারাপ করার যৌক্তিক কোনো কারণ নেই।
Bengali
ben
original-annotations
98f0ae710378a0b5fe50df07cffcbde326a4d98f4f490c424be43b7f68f78f2d
অনুগ্রহ করে এই অনুচ্ছেদের জন্য একটি ধারাবাহিকতা লিখুন : ১৯৭০ খ্রিষ্টাব্দের সংসদীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করলেও সামরিক সরকার ক্ষমতা হস্তান্তরে টাল-বাহানা করতে থাকে। মুজিবের সাথে গোলটেবিল বৈঠক সফল না হওয়ার প্রেক্ষাপটে পাকিস্তানের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জেনারেল ইয়াহিয়া খান ২৫শে মার্চ গভীর রাতে মুজিবকে গ্রেপ্তার করেন এবং পাকিস্তানি সেনাবাহিনী অপারেশন সার্চলাইট
ের অংশ হিসাবে বাঙালিদের উপর নির্বিচারে আক্রমণ শুরু করে।
Bengali
ben
re-annotations
50e6c1c0b3b80bf3489010ce91c9799fd9ba2052bf2a3be39592fb970cf39916
রাদারফোর্ডের পরমাণু মডেলের সীমাবদ্ধতা আলোকপাত করো।
রাদারফোর্ডের পরমাণু মডেল আলফা কণা বিক্ষেপণ পরীক্ষার ফলাফলের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ হলেও তাত্ত্বিক দিক দিয়ে মডেলটি যথেষ্ট বিরোধিতার সম্মুখীন হয়। এ মডেলের বিরোধীরা বলেন, সৌরমণ্ডলের গ্রহসমূহ সামগ্রিকভাবে আধানবিহীন অথচ ইলেকট্রনগুলো ঋণাত্মক আধানযুক্ত এবং পরস্পরকে কুলম্ব বল দ্বারা বিকর্ষণ করে। অপরদিকে গ্রহগুলো মহাকর্ষ বল দ্বারা পরস্পরকে আকর্ষণ করে। সুতরাং গ্রহের সাথে ইলেকট্রনের তুলনা সঠিক হয় না। ম্যাক্সওয়েলের তত্ত্বানুসারে কোনো আধানযুক্ত বস্তু বা কণা বৃত্তাকার পথে ঘুরলে তা ক্রমাগত শক্তি বিকিরণ করবে এবং তার গতিপথের ব্যাসার্ধ ধীরে ধীরে কমতে থাকবে এবং ঋণাত্মক আধানযুক্ত ইলেকট্রনসমূহ ক্রমাগত শক্তি হারিয়ে নিউক্লিয়াসে পতিত হবে। ফলে পরমাণুর অস্তিত্ব থাকবে না। কিন্তু বাস্তবে পরমাণু হতে ক্রমাগত শক্তি বিকিরণ বা ইলেকট্রনের নিউক্লিয়াসে পতন কখনোই ঘটে না। এছাড়াও, আবর্তনশীল ইলেকট্রনের কক্ষপথের আকার সম্পর্কে কোনো ধারণা রাদারফোর্ডের মডেলে দেওয়া হয়নি।
Bengali
ben
original-annotations
98f0ae710378a0b5fe50df07cffcbde326a4d98f4f490c424be43b7f68f78f2d
নিচের অনুচ্ছেদের বিষয় কি ? দ্বিতীয় আবদুল হামিদ তরুণ তুর্কি বিপ্লব দ্বারা দ্বিতীয় সাংবিধানিক যুগের সূচনা করে সাংবিধানিক রাজতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে বাধ্য হন। তিনি তার ভাই ষষ্ঠ মুহাম্মদ (১৮৪৪-১৯১৮) দ্বারা উত্তরাধিকারী হন, কিন্তু বিপ্লবের পরে, উসমানীয় সাম্রাজ্যের আসল শক্তিটি জাতীয়তাবাদীদের হাতে পড়ে। লন্ডনের সম্মেলনে (১৯২৯ সালের ফেব্রুয়ারি) এই আন্দোলনটি একটি বিষয় ছিল; তবে জাতীয়তাবাদী আরবরা এটিকে আরব দেশগুলির ইসলামী আধিপত্য অব্যাহত রাখার হুমকি হিসাবে দেখে।
তরুণ তুর্কি বিপ্লব |
Bengali
ben
re-annotations
50e6c1c0b3b80bf3489010ce91c9799fd9ba2052bf2a3be39592fb970cf39916
এই লেখাটি কোন গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা সম্পর্কে ? কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে অর্জুন তার রথের সারথি নিয়োগ করেন তার মিত্র কৃষ্ণকে। কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে অর্জুন কৌরবদের অনেক সেনাকে হত্যা করেন। তার হাতে কৌরবদের সেনাপতি ভীষ্ম কে শরশয্যায় নিপাতিত করেছেন। অবশ্য তার জন্য তাকে শিখণ্ডীর সাহায্য নিতে হয়েছিল। কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে পাণ্ডবদের জয়ের অন্যতম কারণ হল অর্জুনের রণনৈপুণ্য। তাছাড়া অর্জুন ভগদত্ত, জয়দ্রথ, কর্ণকে তিনি বধ করেছেন। কিন্তু ভীষ্মকে শরশয্যায় নিপাতিত করতে তাঁকে শিখণ্ডীকে সামনে রাখতে হয়েছে। এই অন্যায় যুদ্ধের জন্য বসু দেবতাগণ অর্জুনকে নরকবাসের অভিশাপ দিয়েছিলেন।
কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধ |
Bengali
ben
re-annotations
50e6c1c0b3b80bf3489010ce91c9799fd9ba2052bf2a3be39592fb970cf39916
অনুগ্রহ করে নিম্নলিখিত প্রসঙ্গের উপর ভিত্তি করে একটি প্রশ্ন তৈরি করুন যার উত্তর হল "ওবেসিটি" | প্রসঙ্গ : অতিস্থূলতা ( ওবেসিটি ) হলো শরীরের এক বিশেষ অবস্থা, এই অবস্থায় শরীরে অতিরিক্ত স্নেহ বা চর্বি জাতীয় পদার্থ জমা হয় এবং স্বাস্থ্যের ওপর এর ক্ষতিকারক প্রভাব পড়ে, ফলে আয়ু কমে যেতে পারে এবং একইসঙ্গে শারীরিক নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে।বডি মাস ইনডেক্স হলো শরীরের উচ্চতা ও ওজনের আনুপাতিক হার, যা দিয়ে বোঝা যায় যে কোনো ব্যক্তি মাত্রাধিক ওজন (pre-obese) বিশিষ্ট কিনা। যদি কারো বডি মাস ইনডেক্স ২৫kg/m2 থেকে ৩০kg/m2মধ্যে থাকে তখন তাকে স্থূলকায় বা মোটা বলা যেতে পারে, আর যখন বডি মাস ইনডেক্স ৩০kg/m2 বেশি থাকে তখন তাকে অতি স্থূলকায় বা অতিরিক্ত মোটা বলা হয়।
অতিস্থূলতার ইংরেজি পরিভাষাটি কী ?
Bengali
ben
re-annotations
50e6c1c0b3b80bf3489010ce91c9799fd9ba2052bf2a3be39592fb970cf39916
মধ্যমেয়াদী অর্থসংস্থানের উৎস হিসেবে বাণিজ্যিক ব্যাংকের ভূমিকা তুলে ধর।
বাণিজ্যিক ব্যাংকসমূহ সাধারণত স্বল্পমেয়াদি ঋণ প্রদান করেন। কারণ ব্যাংকসমূহ যে সঞ্চিত অর্থকে বিনিয়োগ করেন, তা বহুলাংশে চাহিবামাত্র ফেরতযোগ্য। তবুও ব্যবসায়ীদের বাণিজ্যিক চাহিদা মেটানোর জন্য ব্যাংকসমূহ তাদের মেয়াদি সঞ্চয়ের ডিত্তিতে মধ্যমেয়াদি ঋণ প্রদান করেন। বস্তুত মেয়াদি ঋণের কিস্তিতে পরিশোধযোগ্যতা ব্যাংকসমূহকে ঋণ প্রদানে অনুপ্রাণিত করেছে। কারণ এক কিস্তিতে পরিশোধযোগ্য ঋণের তুলনায় অনেক দ্রুততার সাথে এ ঋণ আদায় করা হয়। ব্যাংক কর্তৃক সরবরাহকৃত মেয়াদি ঋণ দুটি বিশেষ উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়: ১. স্থায়ী ও চলতি সম্পত্তিতে অর্থসংস্থানের জন্য এ ঋণ প্রদান করা হয়। এ মেয়াদি ঋণ দ্বারা ক্রীত সম্পত্তির আয় দিয়ে ঋণের অর্থ পরিশোধ সম্ভব হতে পারে। ২. অন্তবর্তীকালীন অর্থসংস্থানের জন্যও এ ঋণ প্রদান করা হয়। যদি কোন প্রতিষ্ঠান বাজারে শেয়ার বা ঋণপত্র বিলি করে তবে অর্থ না পাওয়া পর্যন্ত প্রয়োজন মেটাতে মধ্যমেয়াদি ঋণ নেয়া যায়। শেয়ার বা ঋণপত্রের অর্থ প্রাপ্তির সাথে সাথে ব্যাংকের ঋণ ফেরত দেয়া হয়।
Bengali
ben
original-annotations
98f0ae710378a0b5fe50df07cffcbde326a4d98f4f490c424be43b7f68f78f2d
নিম্নলিখিত অনুচ্ছেদের বিষয় কি ? ১৯৭১ হল ২০০৭ সালের ভারতীয় হিন্দি ভাষার যুদ্ধ নাট্য চলচ্চিত্র, এটি পরিচালনা করেছিলেন অমৃত সাগর এবং রচনা করেছিলেন পীযূষ মিশ্র এবং অমৃত সাগর। এটি একাত্তরের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের পরে যুদ্ধবন্দীদের সত্য কাহিনী অবলম্বনে নির্মিত হয়েছে। এই ছবিতে অভিনয় করেছিলেন মনোজ বাজপেয়ী, রবি কিষাণ, পীযূষ মিশ্র, দীপক ডোবরিয়াল এবং আরো অনেকে। ৫৫তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে, এটি হিন্দিতে পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র বিভাগে সেরা জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জিতেছিল।
একাত্তরের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের
Bengali
ben
re-annotations
50e6c1c0b3b80bf3489010ce91c9799fd9ba2052bf2a3be39592fb970cf39916
নিচের প্রশ্নের উত্তর দাও: ইউরোপীয় শক্তিগুলি সাধারণত উপনিবেশিক অঞ্চলগুলি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য কী করত?
উপনিবেশিক অঞ্চলগুলি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য পরোক্ষ নিয়ম পছন্দ করেছিল|
Bengali
ben
re-annotations
6e778d7e8aa512883c877966afe48e4a51d98ebb8e51e7b6143f45d86d9afd8c
নিচের প্রসঙ্গ দিয়ে শুরু করে একটি অনুচ্ছেদ লিখুন : এই মাসের প্রথম দিনে, ভালেনসিয়ার বিরুদ্ধে একটি আত্মঘাতী গোল এবং বাজকেজের গোলের মাধ্যমে ২–০ গোলে জয়লাভ করে ৩ পয়েন্ট অর্জন করে। ২০১৮ সালের ৬ই ডিসেম্বর তারিখে, কোপা দেল রে'র ৩২ দলের পর্বের ফিরতি লেগে মেলিয়ার বিরুদ্ধে আসেন্সিও ও ইস্কোর জোড়া গোল এবং ভিনিসিউস ও হাভি সানচেজের একটি গোলের মাধ্যমে ৬–১ গোলে জয়লাভ করে; এর ফলে রিয়াল মাদ্রিদ সামগ্রিকভাবে ১০–১ গোলে জয়লাভ করে ১৬ দলের পর্বে অগ্রসর হয়। তিন দিন পর, বেলের করা একমাত্র গোলের মাধ্যমে এসডি উয়েস্কার বিরুদ্ধে অ্যাওয়ে ম্যাচে ১–০ গোলে জয়লাভ করে। চ্যাম্পিয়নস লিগের গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে মাদ্রিদ রুশ ক্লাব সিএসকেএ মস্কোর বিরুদ্ধে ০–৩ ব্যবধানে পরাজিত হয়েছিল। ২০১৮ সালের ১৫ই ডিসেম্বর তারিখে, বেনজেমার করা একমাত্র গোলের বিনিময়ে মাদ্রিদ রায়ো ভায়েকানোর বিরুদ্ধে ১–০ গোলে জয়লাভ করেছিল। ২০১৮ সালের ১৯শে ডিসেম্বর তারিখে, ২০১৮ ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের
সেমি-ফাইনালে জাপানের ক্লাব কাশিমা অ্যান্টলার্সকে ৩–১ গোলে হারিয়ে দেয়; উক্ত ম্যাচে বেল এই মৌসুমে প্রথমবারের মতো হ্যাট্রিক করেন। ৩ দিন পর, ফাইনালে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ক্লাব আল-আইনকে ৪–১ গোলে হারিয়ে টানা তৃতীয় বার এবং রেকর্ড পরিমাণ ৪ বার ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের শিরোপা জয়লাভ করে; এই ম্যাচে লুকা মদরিচ, মার্কোজ ইয়োরেন্তে, রামোস একটি করে গোল করেছিল।
Bengali
ben
re-annotations
50e6c1c0b3b80bf3489010ce91c9799fd9ba2052bf2a3be39592fb970cf39916
কোন গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা সম্পর্কে এই লেখা ? সিলন নিজের দিকটা সম্পূর্ণ করেছিল এ.জে. গোপালান ট্রফি খেলার মাধ্যমে ১৯৫০ সালে দিকে, শ্রীলঙ্কার নতুন নাম পরিবর্তনের পর ১৯৭০ সালেও। শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট দল একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ দিয়ে আবির্ভূত হয় ১৯৭৫ ক্রিকেট বিশ্বকাপ এ এবং তাদের প্রথম এক দিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচে বিজয়ী হয় ভারতের বিপক্ষে যে কিনা জাতীয় ক্রিকেট খেলার দলটি এসেছে ১৯৭৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপ এ। পরবর্তিতে শ্রীলঙ্কা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল থেকে ১৯৮১ সালে টেষ্ট এর স্ট্যাটাস পায়।
সিরসিকেট বিশ্বে শ্রীলংকার উত্থান।
Bengali
ben
re-annotations
5f3397f86a04bd591aaa77ca39eb85f0ac496637fe5770a290252b66359205ad
নিচের অনুচ্ছেদের বিষয় কি ? ১৯৩৮ থেকে ১৯৫৪ সাল পর্যন্ত তিনটি বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হয়। তবে বিভিন্ন কারণে আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করেনি। ১৯৩৮ ফিফা বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হয় ফ্রান্সে। টানা দ্বিতীয়বার ইউরোপে বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবার ফলে এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নেয় আর্জেন্টিনা এবং উরুগুয়ে। প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয় ইতালি, যা ছিল তাদের দ্বিতীয় শিরোপা। এরপর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণে কয়েক বছর বিশ্বকাপ বন্ধ ছিল। বিশ্বযুদ্ধের পর প্রথম বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হয় ১৯৫০ সালে ব্রাজিলে। কিন্তু ব্রাজিলীয় ফুটবল সংস্থার সাথে দ্বন্দ্ব্বের কারণে এই বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করেনি আর্জেন্টিনা। এরপর ১৯৫৪ সুইজারল্যান্ড বিশ্বকাপেও অংশগ্রহণ করতে অনিচ্ছা প্রকাশ করে তারা। টানা তিনটি বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ না করলেও এই সময়ের মধ্য আর্জেন্টিনা ১৯৩৭, ১৯৪১, ১৯৪৫, ১৯৪৬, ১৯৪৭, ১৯৫৫ ও ১৯৫৭ সালে দক্ষিণ আমেরিকান চ্যাম্পিয়নশীপের শিরোপা জেতে।
ফিফা বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ |
Bengali
ben
re-annotations
50e6c1c0b3b80bf3489010ce91c9799fd9ba2052bf2a3be39592fb970cf39916
নিম্নলিখিত বাক্যাংশটি সম্পূর্ণ করুন : জানুয়ারি ২৮, ২০১৮ তে ডেভিল প্রথম নারী রয়্যাল রাম্বাল ম্যাচে ১০ নাম্বারে প্রবেশ করে ৬:৪১ সেকেন্ড পর্যন্ত টিকে থাকতে সক্ষম হন। মাইকেল ম্যাককুল দ্বারা এলিমিনেট হয়ে যাওয়ার পূর্বে তিনি টরি উইলসন কে এলিমিনেট করেন। ফেব্রুয়ারি ২৫ এ ডেভিল
প্রথম নারী এলিমিনেশন চেম্বার ম্যাচে অংশ নেন কিন্তু ব্লিস এর কাছে হেরে যান। এপ্রিলে পেইজ তার ঘাড়ের ইঞ্জুরির কারণে রেসলিং থেকে অবসর নেন এবং স্ম্যাকডাউনের নতুন জেনারেল ম্যানেজার হন।
Bengali
ben
re-annotations
50e6c1c0b3b80bf3489010ce91c9799fd9ba2052bf2a3be39592fb970cf39916
"ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য: জামদানি" শিরোনামে একটি অনুচ্ছেদ লিখুন।
জামদানি কার্পাস তুলা দিয়ে প্রস্তুত এক ধরনের বস্ত্র যার বয়ন পদ্ধতি অনেকটা মসলিনের মতো। জামদানি নানা স্থানে তৈরি করা হয় বটে কিন্তু ঢাকাকেই জামদানির আদি জন্মস্থান বলা হয়। এর ঐতিহাসিক উৎপাদন মুঘল সম্রাটদের রাজকীয় শাসন দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়েছিল। মুঘল সাম্রাজ্যের অধীনে ফার্সি শব্দ জামদানির জনপ্রিয় ব্যবহার আসে। কারণ এটি মুগলদের কোর্ট ভাষা ছিল। সাধারণত মনে করা হয় মুসলমানেরাই ভারত- উপমহাদেশে জামদানির প্রচলন ও বিস্তার করেন জাম পরিবেশনকারী ইরানি সাকীর পরনের মসলিন থেকে জামদানি নামের উৎপত্তি ঘটেছে। জামদানি বয়ন প্রথাটি বাংলার উৎপত্তি। জামদানি ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) ক্লাসিক মসলিনের নৈপুণ্যের পরিচায়ক এবং দেশের সেরা বস্ত্রগুলোর মধ্যে অন্যতম, যা জিআই নিবন্ধন পেয়েছে। জিআই অ্যাক্ট ২০১৩ অনুযায়ী কেউ যদি প্রত্যায়িত জিআই পণ্যগুলি নিজের দাবি করতে চায় বা সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ থাকে তবে তাকে গেজেটের ২ মাসের মধ্যে জানাতে হবে। জামদানিকে অন্য কোনো দেশ নিজেদের বলে অভিযোগ করতে পারেনি। তাই জামদানিকে নিবন্ধিত ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য হিসেবে সরকার ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্পকে যথাযথ ভূষিত করেছে। বর্তমানে জামদানি বাংলাদেশের একটি একক পণ্য। জামদানির উৎপত্তি এবং শিল্পের উন্নয়ন কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্রে পাওয়া যায়। উনিশ শতকে ব্রিটিশদের সস্তা সুতার কাপড় আমদানির ফলে জামদানির উৎপাদন হ্রাস পেয়েছিল। তবে বর্তমানে জামদানির চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জে এখন জামদানি পল্লি গড়ে উঠেছে।
Bengali
ben
original-annotations
98f0ae710378a0b5fe50df07cffcbde326a4d98f4f490c424be43b7f68f78f2d
এই অনুচ্ছেদের জন্য একটি ধারাবাহিকতা লিখুন : ২০০৭ ক্রিকেট বিশ্বকাপটি
প্রথমবারের মতো ক্যারিবীয়ায় অঞ্চলে আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। জামাইকান সরকার খেলার পিছনে ৮১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয় করেছিল। এর মধ্যে ছিল সাবিনা পার্কটি পুনর্নির্মাণ করা এবং ট্রেলুনি নতুন বহুমুখী সুবিধা এবং চীন থেকে ঋণ নিয়ে এইসব নির্মাণ করা হয়েছিল। খেলার বাদে অন্যান্য ব্যয়ের জন্য আরও একটি ২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বাজেট করা হয়েছিল এবং সর্বশেষে যার পরিমাণ ছিল ১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ৭ বিলিয়ন জামাইকান ডলারেরও বেশি হবে। সাবিনা পার্কের পুনর্নির্মাণের জন্য ৪৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয় করেছিল, যেখানে ট্রেলুনি স্টেডিয়ামের পিছনে ৩৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয় করা হয়েছিল। স্টেডিয়ামগুলিতে মোট অর্থ ব্যয় হয়েছে কমপক্ষে ৩০১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০০৭ বিশ্বকাপের আয়োজকরা ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটের রীতিনীতি সত্ত্বেও বাইরের খাবার, চিহ্ন, রেপ্লিকা কিট এবং বাদ্যযন্ত্রের উপর নিষেধাজ্ঞার জন্য সমালোচিত হয়েছিল, কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে "[ক্রিকেট এবং ক্রিকেটের ঐতিহ্য] শহর থেকে দূরে চলছে, এবং পরে এটি বিদ্যমানতার বাইরে পরিষ্কারকরণ" করার অভিযোগ আনা হয়েছিল। স্যার ভিভ রিচার্ডস উদ্বেগ প্রতিধ্বনিত করেছিলেন। টিকিট এবং অনুমোদনের উচ্চমূল্যের জন্য আইসিসিরও নিন্দা করা হয়েছিল, যেগুলি অনেক জায়গাতেই স্থানীয় জনগণের পক্ষে সাশ্রয়ী নয় বলে বিবেচিত হয়েছিল। ঘটনাচক্রে এক মর্মান্তিক মোড় নেয়, পাকিস্তানের কোচ বব ওলমারকে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে পাকিস্তান দলের পরাজয়ের পর বিশ্বকাপ থেকে বাদ পরার একদিন পরে অর্থাৎ ২০০৭ সালের ১৮ই মার্চ মৃত পাওয়া যায়। জামাইকান পুলিশ একটি ময়না তদন্ত করেছে যা মীমাংসাহীন বলে মনে করা হয়েছিল। ঐদিনেই পুলিশ এই মৃত্যুকে সন্দেহজনক বলে ঘোষণা করেছিল এবং পূর্ণ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল। আরও তদন্তে মৃত্যুর কারণটি "শ্বাসরোধ করে হত্যা" বলে প্রকাশিত হয়েছিল, এবং পরবর্তী তদন্ত হত্যাকাণ্ড হিসাবে পরিচালিত হয়েছিল। দীর্ঘ তদন্তের পরে জামাইকান পুলিশ তাকে খুন করা হয়েছে এমন মন্তব্য প্রত্যাখ্যান করেছিল এবং নিশ্চিত করেছিল যে তিনি প্রাকৃতিক কারণে মারা গিয়েছিলেন।
Bengali
ben
re-annotations
50e6c1c0b3b80bf3489010ce91c9799fd9ba2052bf2a3be39592fb970cf39916
অনুগ্রহ করে নিম্নলিখিত প্রসঙ্গের উপর ভিত্তি করে একটি প্রশ্ন তৈরি করুন যার উত্তর হল "গায়ানা সহযোগিতামূলক প্রজাতন্ত্র" প্রসঙ্গ : দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশের উত্তর উপকূলে অবস্থিত একটি দেশ। এটি পূর্বে একটি ব্রিটিশ উপনিবেশ ছিল এবং তখন এর নাম ছিল ব্রিটিশ গায়ানা। ১৯৬৬ সালে ১৫০ বছরের ঔপনিবেশিক শাসন শেষে ব্রিটিশ গায়ানা স্বাধীনতা লাভ করে এবং গায়ানা নাম নেয়। গায়ানা একটি আদিবাসী আমেরিকান শব্দ, যার অর্থ "পানির দেশ"। দেশটির পূর্ণ সরকারি নাম গায়ানা সহযোগিতামূলক প্রজাতন্ত্র। বর্তমানে গায়ানা কমনওয়েল্‌থ অভ নেশন্‌স এর সদস্য। এটি দক্ষিণ আমেরিকার একমাত্র ইংরেজিভাষী রাষ্ট্র। এর রাজধানীর নাম জর্জটাউন।
দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশের অন্তর্গত গায়ানা দেশটির সরকারি নাম কী ?
Bengali
ben
re-annotations
50e6c1c0b3b80bf3489010ce91c9799fd9ba2052bf2a3be39592fb970cf39916
"প্রমিত বাংলার ব্যবহার" শিরোনামে একটি অনুচ্ছেদ রচনা করো।
শিক্ষিত সমাজে সুধীজন ও গণমাধ্যম কর্তৃক ব্যবহৃত মৌখিক ভাষাকে প্রমিত ভাষা বলে। মূলত আঞ্চলিক ভাষার তারতম্যের ফলে একটি মান ভাষায় নির্দিষ্ট ভাষাভাষী গোষ্ঠীর মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন করা হয়। এর ফলে ভাষার দুর্বোধ্যতা ও জটিলতা থেকে রেহাই পাওয়া যায়। ভাষার এই মান বা আদর্শরূপকেই প্রমিত ভাষা বলে। এ দেশের নানা অঞ্চলের মানুষের মৌখিক ভাষা নানারকম। এক অঞ্চলের মানুষের মুখের ভাষার সাথে অন্য অঞ্চলের মানুষের মুখের ভাষায় বিস্তর পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়। এছাড়া বর্তমান সময়ে স্যাটেলাইট গণমাধ্যমের অবাধ অনুকরণের ফলে বিদেশি সংস্কৃতির প্রভাবেও সাধারণ মানুষের ভাষা পরিবর্তিত হচ্ছে। বিশেষ করে ইংরেজি মিশ্রিত বাংলার ভুল ব্যবহার যত্রতত্র দেখা যাচ্ছে। ভাষার এমন অসংগতি দূর করার লক্ষ্যেই প্রমিত বাংলার ব্যবহার করা উচিত। কেননা ভাষায় এভাবে জগাখিচুড়ি শব্দ যোগ হলে ভাষার অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়বে। ভাষাবিদগণ তাই ভাষার শুদ্ধ প্রয়োগের ওপর বেশি জোর দিচ্ছেন। শুদ্ধ উচ্চারণে ভাষা ব্যবহারের ফলেই কেবল ভাষার গতিকে প্রবহমান রাখা সম্ভব। তাই প্রমিত বাংলা ব্যবহারে সবাইকে উদ্যোগী হতে হবে। যে ভাষার জন্য ভাষাশহিদেরা প্রাণ দিয়েছেন সেই ভাষার স্বাতন্ত্র্য টিকিয়ে রাখা এখন সময়ের দাবি।
Bengali
ben
original-annotations
98f0ae710378a0b5fe50df07cffcbde326a4d98f4f490c424be43b7f68f78f2d
এই লেখাটি কোন গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা সম্পর্কে ? বনু সুলাইম অভিযান (আল কুদর অভিযান নামেও পরিচিত) ২ হিজরিতে বদরের যুদ্ধ থেকে ফেরার সাতদিন পরে সংঘটিত হয়। বনু সুলাইম গোত্র মদিনা আক্রমণের পরিকল্পনা করছে এমন খবর পাওয়ার পর মুহাম্মাদ অভিযানের নির্দেশ দেন।
বদরের যুদ্ধ |
Bengali
ben
re-annotations
50e6c1c0b3b80bf3489010ce91c9799fd9ba2052bf2a3be39592fb970cf39916
যুক্তফ্রন্টের ২১ দফা দাবির যেকোনো দুইটি দাবি উল্লেখ কর।
১৯৫৪ সালে পূর্ববাংলার প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচনে মুসলিম লীগকে ক্ষমতাচ্যুত করার উদ্দেশ্যে যুক্তফ্রন্ট গঠিত হয়। ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্ট ২১ দফার ভিত্তিতে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে। পূর্ব বাংলার গণমানুষের দাবির ভিত্তিতে এসব দফা ঠিক করা হয়। ২১ দফার উল্লেখযোগ্য দফাগুলোর দুটি হলো বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করা এবং শিক্ষা ব্যবস্থার সংস্কার। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন পূর্ব বাংলার জনগণকে তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন করে এবং ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন করার প্রেরণা যোগায়। তাই যুক্তফ্রন্ট তাদের নির্বাচনি ইশতেহারে ২১ দফার ১ম দফাতেই বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার দাবি করে। এছাড়া মাতৃভাষার মাধ্যমে শিক্ষাদান, সরকারি ও বেসরকারি বিদ্যালয়ের মধ্যে ভেদাভেদ দূর করা এবং সকল বিদ্যালয়কে সরকারি সাহায্য দেওয়ার প্রতিশ্রুতি করা হয়।
Bengali
ben
original-annotations
98f0ae710378a0b5fe50df07cffcbde326a4d98f4f490c424be43b7f68f78f2d
ই-কমার্স ব্যবসা বাণিজ্যকে সহজ করেছে— কথাটি ব্যাখ্যা কর।
ঘরে বসে অনলাইনে ব্যবসা-বাণিজ্য করার পদ্ধতিটি হলো ই-কমার্স। এ পদ্ধতিতে কোনো পণ্য অনলাইনে ক্রয়-বিক্রয়, অর্ডার নেয়া ও সরবরাহ করা হয় এবং ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে পণ্যটির মূল্য পরিশোধ করা হলে পণ্যটির বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান তা ক্রেতার বাড়িতে পৌঁছে দেবার ব্যবস্থা করে দেয়। বাজারে গিয়ে বিভিন্ন স্থানে ঘুরে ঘুরে পণ্য কেনা যেমন ক্রেতার কাছে একটি ঝঞ্ঝাটের ব্যাপার তেমনি নির্দিষ্ট স্থানে সুনির্দিষ্ট সেটআপে পণ্য বিক্রয়ের ব্যাপারটিতে বিক্রেতাকেও বিনিয়োগ, ব্যবসায়িক সুযোগ প্রভৃতি ক্ষেত্রে নানা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি করে। এছাড়াও রাস্তাঘাটে চুরি, ছিনতাই, যানজটসহ আরও নানা রকম বিড়ম্বনার সম্ভাবনা থাকতে পারে। কিন্তু অনলাইন শপিং-এর ক্ষেত্রে এ ধরনের কোন ঝুঁকির সম্ভাবনা নেই। তাই ই-কমার্স মাধ্যমে ব্যবসা অনেক বেশি সহজ হয়ে উঠেছে।
Bengali
ben
original-annotations
98f0ae710378a0b5fe50df07cffcbde326a4d98f4f490c424be43b7f68f78f2d
নিম্নলিখিত জন্য একটি ধারাবাহিকতা লিখুন : সত্যজিৎ রায়
একজন ভারতীয় চলচ্চিত্র নির্মাতা ও বিংশ শতাব্দীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র পরিচালক।
Bengali
ben
re-annotations
50e6c1c0b3b80bf3489010ce91c9799fd9ba2052bf2a3be39592fb970cf39916
মূলধন ব্যয়ের উপর আর্থিক লিভারেজের প্রভাব ব্যাখ্যা করো।
বিভিন্ন প্রকার অর্থসংস্থানের সংমিশ্রণে কোন প্রতিষ্ঠানের মূলধন কাঠামো গঠিত হয়। এদের মধ্যে রয়েছে- ইক্যুইটি, অগ্রাধিকার শেয়ার, ঋণপত্র বা দীর্ঘমেয়াদি ঋণ, সংরক্ষিত আয় ইত্যাদি। এগুলোর সমন্বিত রূপই মূলধন কাঠামো। এদের প্রতিটির যেমন আলাদা ব্যয় রয়েছে তেমনি রয়েছে এদের গড় ব্যয়। এই প্রতিটি উৎসের মূলধন ব্যয়ের হ্রাস-বৃদ্ধি ঘটলে গড় মূলধন ব্যয়ের উপর তার প্রভাব পড়বে। এখন আর্থিক ব্যবস্থাপকের প্রশ্ন আসতে পারে মূলধন ব্যয়ের উপর আর্থিক লিভারেজের কোন প্রভাব আছে কি না। এ প্রশ্নের উত্তর জানার জন্য প্রথমেই জানতে হবে আর্থিক লিভারেজ কি? আর্থিক লিভারেজ হলো স্থায়ী ব্যয়যুক্ত তহবিল যা কোন ফার্মের মালিকদের আয় বৃদ্ধির জন্য ব্যবহার করা হয়। যদিও সর্বদাই আয় বৃদ্ধি হবে এমনটি নয়। আসলে আর্থিক লিভারেজ বলতে দীর্ঘমেয়াদি ঋণকে বুঝায়। বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা গেছে যে, অন্যান্য উৎসের তুলনায় দীর্ঘমেয়াদি ঋণের ব্যয় কম। এর প্রধান কারণ হলো ঋণের সুদ অনুমোদনযোগ্য ব্যয়। অর্থাৎ আয় হতে কর প্রদানের পূর্বেই এটি বাদ দিতে হয়। ফলে কর বাবদ কিছু অর্থ সাশ্রয় হয়। সুতরাং প্রতিষ্ঠানের সার্বিক মূলধন ব্যয়ের উপর এর অবশ্যই একটি প্রভাব রয়েছে।
Bengali
ben
original-annotations
98f0ae710378a0b5fe50df07cffcbde326a4d98f4f490c424be43b7f68f78f2d
নিম্নলিখিত শিরোনামে একটি নিবন্ধ লিখুন: "যেই অভিনেত্রী নিজের শেষকৃত্যের জন্য তহবিল তুলেছিলেন"
২০১৭ সালে ফুসফুসে টিউমার ধরা পড়ে শার্লি হেলারের যুক্তরাজ্যের অভিনেত্রী শার্লি হেলারকে যখন চিকিৎসকরা কয়েকমাসের আয়ু বেধে দেন, তখন তিনি নিজের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার জন্য ওই তহবিল তোলা শুরু করেছিলেন। গত অক্টোবরে বুকে ব্যথা শুরু হয়ে চিকিৎসকের কাছে গেছে চিকিৎসকরা তাকে জানান, তিনি আর মাত্র পাঁচ সপ্তাহ বেঁচে আছেন। এরপর নিজের শেষকৃত্যানুষ্ঠান আয়োজনের জন্য তহবিল সংগ্রহের ওই কাজ শুরু করেন তিনি। এর কারণ হিসাবে অভিনেত্রী শার্লি বলেছিলেন, তার ১৬ বছর বয়সে ভাইকে হারিয়েছে পরিবার। ''সুতরাং কোন বাবা-মায়ের ক্ষেত্রে এমন হওয়া উচিত না যে, তাদের সব সন্তানের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার কাজ তারা করবেন।'' ওয়েব ভিত্তিক নেটফ্লিক্সে সম্প্রতি মুক্তি পাওযা 'আউট'ল কিং' চলচ্চিত্রে তিনি একজন গ্রামবাসীর চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। তার আশা ছিল, সেটির সম্প্রচার তিনি দেখে যেতে পারবেন। কিন্তু চলচ্চিত্রটি মুক্তির দুইদিন আগে, বুধবার তিনি মারা যান। তার তহবিল সংগ্রহের পাতায় একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ''চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় মিস হেলার ঘুমের ভেতরেই মারা গেছেন।'' ''সবার সহায়তা এবং অনুদানের জন্য শার্লি সবার কাছে কৃতজ্ঞ ছিল, যা তার শেষ সপ্তাহগুলোকে চমৎকার করে তুলেছিল।'' আরো পড়তে পারেন: নির্বাচনের তারিখ পেছালো কমিশন সিট ভাগাভাগি - কতটা ভোগাতে পারে বিএনপিকে? যে বাঙালী 'ভদ্রলোক'রা বিশ্বযুদ্ধে গিয়েছিলেন কোথায় শিক্ষকরা সবচেয়ে মর্যাদা পান, কোথায় পান না নিজের অভিনয় করা চলচ্চিত্র মুক্তির আশা থাকলেও, সেটি দেখে যেতে পারেননি মিস হেলার ২০১৭ সালে প্রথম ফুসফুসে টিউটার ধরা পড়ে শার্লি হেলারের। তবে এ বছরের সেপ্টেম্বরে তিনি বলেছিলেন, টিউমারটি নিশ্চিহ্ন হয়ে যাচ্ছে এবং তিনি খুব তাড়াতাড়ি নিউক্যাসল যেতে পারবেন, যেখানে তিনি একজন বসবাস করতেন। মৃত্যুর কিছুদিন আগে মিস হেলার বলেছিলেন, '' আমার বাবা-মা এর আগেই একটি সন্তান হারিয়েছে-১৯৯৯সালে আমার ভাই মারা গেছে। সুতরাং এর ধরণের দুঃখের ঘটনা তাদের জন্য আগেও ঘটেছে।'' অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার জন্য তহবিল সংগ্রহের উদ্যোগ সম্পর্কে তিনি বলেছেন, ''তারা আবার একই ধরণের পরিস্থিতিতে পড়বে, এটা ভাবতেই আমার খারাপ লাগছে। কারো নিজের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার পরিকল্পনা করা হয়তো উচিত নয়, কিন্তু আমি তাদের ওপর সেই চাপ কমিয়ে দিতে পারি, এবং আমার বাবা-মায়ের জন্য আরেকটু সহজ করে দিতে পারি, আমি অবশ্যই তা করবো।''
Bengali
ben
re-annotations
50e6c1c0b3b80bf3489010ce91c9799fd9ba2052bf2a3be39592fb970cf39916
নিচের অনুচ্ছেদের বিষয় কি? তিনি ১৯১৫ সালে মহাত্মা গান্ধীর সাথে দেখা করেছিলেন এবং অনুপ্রেরণা পেয়েছিলেন। তিনি স্বাধীনতা সংগ্রামে পুরো সময়ের সাথে জড়িত থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন এবং তার আইনি অনুশীলন ত্যাগ করেছিলেন। গাঁধীর চম্পরন ও খেদা সত্যগ্রহ গ্রহণের ক্ষেত্রে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। গান্ধী তার সাথে রাজেন্দ্র প্রসাদ এবং অনুগ্রহ নারায়ণ সিনহাকে সাফল্যের সাথে আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য বাছাই করেছিলেন। গান্ধী প্রসাদের উতসর্গ দেখে এতই মুগ্ধ হয়েছিলেন যে তিনি তার আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ, "দ্য স্টোরি অফ মাই এক্সপেরিমেন্টস উইথ ট্রুথ-" এ তার প্রতি পূর্ণ অধ্যায় আলাদা করে রেখেছিলেন, যার নাম "দ্য বিহারী"।
স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মহাত্মা গান্ধীর সাথে দেখা |
Bengali
ben
re-annotations
50e6c1c0b3b80bf3489010ce91c9799fd9ba2052bf2a3be39592fb970cf39916
what important event is this text about: পাকিস্তান সামরিক একাডেমী হচ্ছে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের মৌলিক সামরিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। ১৯৪৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়া এই একাডেমী পাকিস্তানের একজন রাষ্ট্রপতি তৈরি করে যিনি হচ্ছেন ১৯৬৪ সালে এই একাডেমী থেকে ২য় লেফটেন্যান্ট হিসেবে কমিশন পাওয়া পারভেজ মুশাররফ যিনি ১৯৯৮ সালে পূর্ণ জেনারেল হয়েছিলেন। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই পাকিস্তান সামরিক একাডেমী পাকিস্তানের জাতীয় আদর্শ ধারণ করে আসছে এবং ১৯৬৫ সালের যুদ্ধ (ভারতের সঙ্গে) সহ কার্গিল যুদ্ধ সহ এই একাডেমী থেকে পাশ করা তরুণ কর্মকর্তা বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। এই সামরিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি অ্যাব্‌টাবাদের কাকুল গ্রামে অবস্থিত। দুই বছর মেয়াদী মৌলিক সামরিক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে এখানে দীর্ঘমেয়াদী প্রশিক্ষণের কর্মকর্তা- প্রশিক্ষণার্থীরা যাদেরকে ক্যাডেট বলা হয়, নব্বইয়ের দশক থেকে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পাকিস্তান)-এর অধীন থেকে ক্যাডেটদের ডিগ্রী দেওয়া হচ্ছে যেটা পাকিস্তান সেনাবাহিনীর অধীনে।
পাকিস্তান সামরিক একাডেমী
Bengali
ben
re-annotations
a6df812ec23ed62e1682359609f457ac0956903e4398c3e0bc3d949f2b536a9f
অনুচ্ছেদটি পড় এবং প্রশ্নের উত্তর দাও একটি কেক সেঁকতে ময়দা, ডিম, লবণ, মশলা তৈরির জন্য চিনি, ব্যাটার তৈরির জন্য পানি, চকোলেট এবং ফ্রস্টিং প্রয়োজন হয়। প্রশ্ন একটি কেক বেক করতে কি কি উপাদান প্রয়োজন
ময়দা, ডিম, লবণ, চিনি, পানি, চকোলেট, ফ্রস্টিং
Bengali
ben
original-annotations
50e6c1c0b3b80bf3489010ce91c9799fd9ba2052bf2a3be39592fb970cf39916
শব্দদূষণ নিয়ে একটি অনুচ্ছেদ লিখুন।
শব্দবিজ্ঞানের ভাষায় শক্তির এক বিশেষ রূপ যা আমাদের কানে শ্রবণের অনুভূতি জাগায় তাই হলো শব্দ। শব্দ প্রয়োজনীয় হলেও শব্দময় আমাদের এই জগতে শব্দ কখনো কখনো আমাদের জন্য ক্ষতিকর ও বিরক্তিকর হয়ে ওঠে। আর সেটিই হলো শব্দদূষণ। পাখপাখালির ডাক, মৃদু শব্দ, সংগীতের সুর শ্রুতিমধুর। বিপরীতে যানবাহনের আওয়াজ, রেডিও টেলিভিশনের উচ্চশব্দ, গাড়ির হুইসেল, কলকারখানার সাইরেন, মাইকের আওয়াজ, উড়োজাহাজের শব্দ ইত্যাদি আমাদের প্রাকৃতিক পরিবেশ ও সামাজিক পরিবেশকে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। কারণ, এই শব্দগুলো তীব্র ও অতিমাত্রার, এগুলোই সৃষ্টি করছে শব্দদূষণ । শব্দদূষণে আমাদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা কোনো কোনো ক্ষেত্রে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে, আবার কখনো হুমকির কারণ হচ্ছে। শব্দদূষণে শিশুদের ও বড়দের পড়াশোনার ক্ষতি হচ্ছে, মানুষের কাজকর্ম ব্যাহত হচ্ছে, বিরক্তি উৎপাদক বলে মানুষ মানসিক অবসাদগ্রস্ত হচ্ছে, রোগীরাও শব্দদূষণের কারণে হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে। উচ্চ শব্দযুক্ত শিল্পকারখানায় যেসব শ্রমিক কাজ করে, তাদের শ্রবণশক্তি ১০ বছরে অর্ধেক হ্রাস পায়। অর্থাৎ নিঃসন্দেহে শব্দদূষণ মারাত্মক ক্ষতিকর এক দূষণ। সচেতন ও উদ্যোগী হয়ে আমরা উচ্চ শব্দ তৈরি করা থেকে বিরত থাকলে এই দূষণ থেকে রক্ষা পেতে পারি। আর আজকের দিনে এ বিষয়ে আমাদের উদ্যোগ ও সচেতনতা অতীব প্রয়োজনীয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
Bengali
ben
original-annotations
98f0ae710378a0b5fe50df07cffcbde326a4d98f4f490c424be43b7f68f78f2d
মানুষের তৃষ্ণা পায় কেন?
স্বাভাবিক অবস্থায় রক্তে পানি ও লবণের অনুপাত সমান থাকে। কোনো কারণে রক্তে পানির পরিমাণ কমে গিয়ে মস্তিষ্কের তৃষ্ণা বা পিপাসা কেন্দ্র গলায় সংকেত পাঠালে কণ্ঠনালী সংকুচিত হতে শুরু করে। এ সংকোচন কণ্ঠনালীকে ক্ৰমে শুষ্ক করে তোলায় মানুষের তৃষ্ণা পায়।
Bengali
ben
original-annotations
98f0ae710378a0b5fe50df07cffcbde326a4d98f4f490c424be43b7f68f78f2d
উত্তর আমেরিকা ও ইউরোপের দেশগুলোর মানুষকে তাদের ঘর-বাড়ি বসবাসের উপযোগী রাখতে প্রচুর জ্বালানি সম্পদ ব্যয় করতে হয়। আমাদের এ অঞ্চলের দেশগুলোতে তা করতে হয় না। আমরা প্রকৃতি থেকে সূর্যের যে আলো অনায়াসে লাভ করি তা অনেক মূল্যবান সৌর সম্পদ। ভৌগোলিকভাবে উদ্দীপকে বর্ণিত অবস্থার কারণ ব্যাখ্যা করুন।
উদ্দীপকে বর্ণিত অবস্থার কারণ হলো ভৌগোলিক অবস্থান। নিরক্ষীয় নিম্ন অক্ষাংশ অঞ্চলে সূর্য বছরের প্রায় সব সময়ই লম্বভাবে কিরণ দেয়। বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার অপরাপর দেশগুলো নিরক্ষীয় বা ক্রান্তীয় অঞ্চলে অবস্থিত হওয়ার কারণে এসব দেশ সহজে প্রচুর সৌরশক্তি পেয়ে থাকে। এ অঞ্চলের দেশগুলোতে তাপমাত্রা কখনো বেশি নিম্ন পর্যায়ে নামে না। অন্যদিকে মেরু অঞ্চলে সূর্য তির্যকভাবে কিরণ দেয়, কখনো কখনো সূর্য প্রায় দেখাই যায় না। ফলে মেরু অঞ্চলে অত্যধিক ঠাণ্ডা পড়ে। উদ্দীপকে বলা হয়েছে, উত্তর আমেরিকা ও ইউরোপের দেশগুলোর মানুষকে তাদের ঘরবাড়ি বসবাসের উপযোগী রাখতে প্রচুর জ্বালানি সম্পদ ব্যয় করতে হয়। আমাদের এ অঞ্চলের দেশগুলোকে তা করতে হয় না। এখানে তাপমাত্রা কমবেশি হওয়ার কারণ হলো ভৌগোলিক অবস্থান। পৃথিবীর একেক অক্ষাংশে একেকভাবে সূর্যরশ্মি পতিত হয়। নিরক্ষীয় অঞ্চলে সূর্য লম্বভাবে কিরণ দেয় বলে এই অঞ্চলের তাপমাত্রা বেশি থাকে। বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো নিরক্ষীয় অঞ্চলে হওয়ায় তাপমাত্রা নিম্ন পর্যায়ে নামে না। ফলে এ অঞ্চলের ঘরবাড়ি গরম রাখার প্রয়োজন হয় না। আবার নিরক্ষরেখা থেকে উত্তর ও দক্ষিণ মেরু অঞ্চলে সূর্য তির্যকভাবে কিরণ দেয়। ফলে তাপমাত্রা কম থাকে। তাই এসব অঞ্চলের দেশগুলোর ঘরবাড়ি গরম রাখতে আগুন জ্বালিয়ে রাখতে হয়। এর ফলে তাদের জ্বালানি বাবদ অতিরিক্ত একটা খরচ করতে হয়।
Bengali
ben
original-annotations
98f0ae710378a0b5fe50df07cffcbde326a4d98f4f490c424be43b7f68f78f2d
নিচের অনুচ্ছেদের বিষয় কি ? কাতারকে ২০২২ ফিফা বিশ্বকাপ আয়জনের পূর্বে টেস্ট ইভেন্ট হিসাবে, ২০১৯ সালের ৩রা জুন তারিখে ২০১৯ এবং ২০২০ প্রতিযোগিতার আয়োজক হিসাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। ক্লাব বিশ্বকাপ ২০২১ সালে পুনর্নির্মাণের পূর্বে এর আসল বিন্যাসটি ধরে রাখবে।
২০২২ ফিফা বিশ্বকাপ |
Bengali
ben
re-annotations
50e6c1c0b3b80bf3489010ce91c9799fd9ba2052bf2a3be39592fb970cf39916
এই অনুচ্ছেদের জন্য একটি ধারাবাহিকতা লিখুন : জিম্বাবুয়ের দল নির্বাচকমণ্ডলীর আহ্বায়ক গিভমোর মাকোনি ২০০৯ সাল থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গনে যোগসূত্র না থাকলেও মুপারিয়াকে ২০১৫
সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে ১৫-সদস্যের চূড়ান্ত দলের অন্যতম সদস্য হিসেবে তাকে অন্তর্ভুক্ত করেন। তবে, জিম্বাবুয়ে এ-দলের বাংলাদেশ সফরে মুপারিয়া দুই খেলায় ১৯.৩৩ গড়ে তিন উইকেট পেয়েছিলেন।
Bengali
ben
re-annotations
50e6c1c0b3b80bf3489010ce91c9799fd9ba2052bf2a3be39592fb970cf39916
নিচের প্রশ্নের উত্তর দাও: ইউরোপীয় শক্তিগুলি সাধারণত উপনিবেশিক অঞ্চলগুলি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য কোনটি পছন্দ করেছিল?
পরোক্ষ নিয়ম পছন্দ করেছিল উপনিবেশিক অঞ্চলগুলি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য |
Bengali
ben
re-annotations
50e6c1c0b3b80bf3489010ce91c9799fd9ba2052bf2a3be39592fb970cf39916
উকাজ মেলা সম্পর্কে ধারণা দাও।
প্রাক-ইসলামি আরবে মক্কার কাছাকাছি উকাজ নামক স্থানে যে বার্ষিক মেলার আয়োজন করা হতো, তা উকাজ মেলা নামে পরিচিত ছিল। উকাজ মেলায় তৎকালীন আরবীয়দের সাংস্কৃতিক জীবনের প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠত। এ মেলায় নানা দ্রব্য-সামগ্রীর কেনা- বেচা ছাড়াও কবিতা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হতো। শ্রেষ্ঠ সাতটি কবিতাকে পুরস্কৃত করা হতো এবং এগুলো সোনালি হরফে লিপিবদ্ধ করে কাবার দেয়ালে ঝুলিয়ে রাখা হতো, যা 'সাবায়ে মুয়াল্লাকাত' নামে পরিচিত ছিল। অর্থাৎ উকাজ মেলা প্রাক-ইসলামি আরবের সংস্কৃতি চর্চার একটি উল্লেখযোগ্য অনুষ্ঠান ছিল।
Bengali
ben
original-annotations
98f0ae710378a0b5fe50df07cffcbde326a4d98f4f490c424be43b7f68f78f2d
ভারতীয় কৃষির জন্য হিমালয়ের গুরুত্ব কী?
ভারতীয় কৃষির জন্য হিমালয়ের গুরুত্ব অপরিসীম। হিমালয় ভারতের উত্তরে অবস্থিত একটি বিশাল পর্বতশ্রেণী। এই পর্বতশ্রেণী ভারতের আবহাওয়া, জলবায়ু এবং জলের উৎসকে প্রভাবিত করে। বেশ কিছু কারণে এটি ভারতের কৃষির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমত, হিমালয় হলো ভারতের প্রধান নদীগুলির উৎসস্থল। হিমালয় থেকে উৎপন্ন নদীর পানি ভারতের কৃষি জমিতে সেচ দেয়ার জন্য ব্যবহার করা হয়। ভারতের প্রধান নদীগুলির মধ্যে রয়েছে গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র, সিন্ধু, যমুনা, তিস্তা। এই নদীগুলি ভারতের মোট জমির প্রায় ৬০% জমিতে সেচ দেয়। দ্বিতীয়ত, ভারতের প্রধান বৃষ্টিপাতের উৎস হলো হিমালয়। হিমালয় বৃষ্টি-বহনকারী মৌসুমি বায়ুকে আটকে রাখে। এই বায়ু থেকে ভারতের উত্তরাঞ্চলে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়। এই বৃষ্টিপাত ভারতের কৃষি জমিতে সেচ দেয় এবং কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। তৃতীয়ত, হিমালয় ভারতের জলবায়ু নিয়ন্ত্রণ করে। হিমালয়ের অবস্থান ভারতের বিভিন্ন ধরনের ফসল চাষের জন্য উপযুক্ত। হিমালয়ের এই গুরুত্বের কারণে ভারত সরকার হিমালয়ের সংরক্ষণে গুরুত্বারোপ করেছে। সরকার হিমালয়ের জল সংরক্ষণ, বনাঞ্চল সংরক্ষণ, এবং পরিবেশগত ক্ষতি রোধে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে।
Bengali
ben
re-annotations
98f0ae710378a0b5fe50df07cffcbde326a4d98f4f490c424be43b7f68f78f2d
নদ-নদী ও জনবসতির মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক বিদ্যমান— কথাটির যথার্থতা বিশ্লেষণ করুন।
নদ-নদী ও জনবসতির মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক বিদ্যমান— কথাটি যথার্থ । প্রাচীন যুগ থেকে মানুষ নদ-নদীর তীরবর্তী সমতল ভূমিতে বসবাস শুরু করে। কেননা, নদ-নদী থেকে মানুষের প্রাত্যহিক ব্যবহার্য পানি পাওয়া নিশ্চিত থাকে। এছাড়া কৃষিকাজের জন্য পানির যোগানও নদী থেকে দেওয়া সম্ভব হয়। জীবন ধারণের জন্য কৃষির পাশাপাশি মাছ শিকার ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত। নদ-নদীই মানুষের খাদ্য ও রোজগারের প্রধান উৎস হিসেবে ভূমিকা পালন করে। পৃথিবীর সকল সভ্যতা ও জনবসতি গড়ে ওঠার পেছনে নদ-নদীর ভূমিকা অতীব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। পরবর্তীকালের জীবন-জীবিকার উন্নতিতেও নদ-নদীকে মানুষ ব্যবহার করেছে। পানির কারণেই মানুষ নদীর কাছাকাছি বসতি স্থাপন, জীবিকা নির্বাহের সন্ধান করেছে। ফলে মানুষের সঙ্গে নদীর অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক আরো বহুমাত্রিক এবং নিবিড় হয়েছে। এদেশের সমাজ, অর্থনীতি, সংস্কৃতির সাথে নদ-নদীর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বিদ্যমান। তাই বলা যায়, নদ-নদীর সাথে জনবসতির নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে।
Bengali
ben
original-annotations
98f0ae710378a0b5fe50df07cffcbde326a4d98f4f490c424be43b7f68f78f2d
আলেপ্পো মুহাফাযার রাজধানী আলেপ্পোর মোট আয়তন কত ? রাষ্ট্রকুট রাজবংশের সর্বশেষ রাজা কে ?
খোট্টিগ অমোঘবর্ষের রাজত্বকালে পারমার রাজা সিকায় হর্ষ রাষ্ট্রকূট সাম্রাজ্য আক্রমণ করে মান্যখেত লুণ্ঠন করেন। এর ফলে রাষ্ট্রকূটদের শক্তি হ্রাস পায়। এরপরই রাষ্ট্রকূট সাম্রাজ্যের পতন ঘটে।[73] এই পরাজয়ের সুযোগ নিয়ে তারদাবাদি প্রদেশের (আধুনিক বিজাপুর জেলা, কর্ণাটক) শাসক তৃতীয় তৈলপ নিজেকে স্বাধীন রাজা ঘোষণা করলে রাষ্ট্রকূট সাম্রাজ্যের পতন সম্পূর্ণ হয়।[74][75] সর্বশেষ রাষ্ট্রকূট সম্রাট চতুর্থ ইন্দ্র জৈন সন্ন্যাসীদের প্রথা অনুসারে শ্রবণবেলগোলায় অনশনে মৃত্যুবরণ করেন। রাষ্ট্রকূটদের পতনের সঙ্গে সঙ্গে দাক্ষিণাত্য ও উত্তর ভারতে তাদের সামন্ত শাসকেরা স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। পশ্চিম চালুক্য সাম্রাজ্য ১০১৫ খ্রিস্টাব্দে মান্যখেত দখল করে সেখানেই তাদের রাজধানী স্থাপন করে। এরপর একাদশ শতাব্দীতে মান্যখেত পশ্চিম চালুক্যদের সাম্রাজ্যের কেন্দ্রে পরিণত হয়। শাসনকেন্দ্র কৃষ্ণা নদী ও গোদাবরী নদীর দোয়াব বেঙ্গিতে স্থানান্তরিত হয়। পশ্চিম দাক্ষিণাত্যে রাষ্ট্রকূটদের পূর্বতন সামন্ত শাসকদের চালুক্যরা নিজেদের অধীনে নিয়ে আসে। এরপর তাঁরা দাক্ষিণাত্যে তাঁদের প্রধান শত্রু তাঞ্জোরের চোল রাজাদের পরাস্ত করে।[76]
Bengali
ben
re-annotations
50e6c1c0b3b80bf3489010ce91c9799fd9ba2052bf2a3be39592fb970cf39916
এই অনুচ্ছেদের জন্য একটি ধারাবাহিকতা লিখুন : অস্ট্রেলিয়া এপর্যন্ত ৫ বার ফিফা বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করেছে, যার মধ্যে সেরা সাফল্য হচ্ছে ২০০৬ ফিফা বিশ্বকাপের ১৬ দলের পর্বে পৌঁছানো, যেখানে তারা ইতালির কাছে ১–০ গোলের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছে। অন্যদিকে, এএফসি এশিয়ান কাপে অস্ট্রেলিয়া অন্যতম সফল দল, যেখানে তারা ১টি (২০১৫
) শিরোপা জয়লাভ করেছে। এছাড়াও, অস্ট্রেলিয়া ১৯৯৭ ফিফা কনফেডারেশন্স কাপে রানার-আপ হয়েছে।
Bengali
ben
re-annotations
50e6c1c0b3b80bf3489010ce91c9799fd9ba2052bf2a3be39592fb970cf39916
অন্তু ক্যানবেরায় পড়াশোনা শেষে বসবাস (৩৫° দক্ষিণ অক্ষরেখা ও ১৫০° পূর্ব দ্রাঘিমারেখা) শুরু করেছে। তার পিতা ফজলুল হক ২২ অক্টোবর তারিখে ঢাকা থেকে (২৩.৫° উত্তর অক্ষরেখা ও ৯০° পূর্ব দ্রাঘিমারেখা) স্থানীয় সময় সকাল ৬টায় তাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান। অন্তু তার বাবাকে আগামী ২৫শে ডিসেম্বর ক্যানবেরা বেড়াতে যাওয়ার আমন্ত্রণ জানায়। জনাব ফজলুল হক ক্যানবেরা বেড়াতে যাওয়ার সময় কি সঙ্গে গরম পোশাক নিয়ে যাবেন? তোমার উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দাও।
না, জনাব ফজলুল হকের অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরা বেড়াতে যাওয়ার সময় গরম পোশাক নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। পৃথিবীর কেন্দ্র দিয়ে উত্তর-দক্ষিণে কল্পিত রেখাকে অক্ষ বা মেরু রেখা বলে। এক্ষেত্রে দুই মেরু থেকে সমান দূরত্বে পৃথিবীকে পূর্ব-পশ্চিমে বেষ্টন করে যে রেখা কল্পনা করা হয় তাকে বলা হয় নিরক্ষরেখা বা বিষুবরেখা। নিরক্ষরেখা পৃথিবীকে উত্তর ও দক্ষিণ গোলার্ধে বিভক্ত করেছে। উদ্দীপকে উল্লিখিত শহর ক্যানবেরা দক্ষিণ গোলার্ধে এবং ঢাকা উত্তর গোলার্ধে অবস্থিত। পৃথিবী নিজ অক্ষে অবিরাম ঘুরতে ঘুরতে নির্দিষ্ট উপবৃত্তকার কক্ষপথে প্রতি সেকেন্ডে ৩০ কিলোমিটার বেগে সূর্যকে পরিক্রমণ করে। পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে সূর্যের এই পরিক্রমণকে বার্ষিক গতি বলে। বার্ষিক গতির জন্য সূর্যরশ্মি পৃথিবীর কোথাও লম্বভাবে আবার কোথাও তীর্যকভাবে পড়ে। এর ফলে দিন-রাত্রির হ্রাস-বৃদ্ধি ঘটে এবং ঋতুর পরিবর্তন হয়। এই পরিবর্তন প্রক্রিয়ায় ২২শে ডিসেম্বর সূর্য মকরক্রান্তির (২৩.৫° দক্ষিণ অক্ষরেখা) রেখার উপর লম্বভাবে কিরণ দেয়। ফলে সেখানে দিন বড় ও রাত ছোট হয়। দক্ষিণ গোলার্ধে এ তারিখের দেড় মাস আগে শুরু হয়ে দেড় মাস পরে পর্যন্ত গ্রীষ্মকাল এবং একইসময়ে উত্তর গোলার্ধে শীতকাল থাকে। উপরের আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায়, ক্যানবেরা দক্ষিণ গোলার্ধে অবস্থিত বলে সেখানে ২২শে ডিসেম্বরের দেড় মাস আগে গ্রীষ্মকাল শুরু হয়েছে এবং তা ঐ তারিখ থেকে আরও দেড় মাস স্থায়ী থাকবে। উদ্দীপকের জনাব ফজলুল হক ২৫শে ডিসেম্বর সেখানে যাবেন। তাই তার গরম কাপড় নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন নেই।
Bengali
ben
original-annotations
98f0ae710378a0b5fe50df07cffcbde326a4d98f4f490c424be43b7f68f78f2d