news_link
stringlengths
42
523
head_lines
stringlengths
2
121
article
stringlengths
1
58.1k
tags
stringlengths
1
285
image_caption
stringlengths
1
1.86k
category
stringclasses
13 values
https://www.bd-pratidin.com/country/2022/04/26/764095
শিমুলিয়া ঘাট নিরাপদে পারাপার নিশ্চিতকরণে সভা
শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ও মাঝিকান্দি নৌ-রুটে আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল ফিতরে ঘরমুখো যাত্রী ও যানবাহন নিরাপদে পারাপার নিশ্চিতকরণ উপলক্ষে বিশেষ আইনশৃঙ্খলা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ের শিমুলিয়া ঘাটের বিআইডব্লিউটিএর ড্রেজার বেইজের হল রুমে আইনশৃঙ্খলা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন মুন্সীগঞ্জের জেলা প্রশাসক কাজী নাহিদ রসুল। আর সঞ্চালনা করেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শিলু রায়। এতে উপস্থিত ছিলেন পরিবহন ব্যবসায়ী ও আওয়ামী লীগ নেতা আলী আকবর হাওলাদর, মেদিনীমন্ডল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাজী আশরাফ হোসেন, কুমারভোগ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান তালুকদার, স্পিডবোট ঘাটের ইজারাদার সালাউদ্দিন আহম্মেদ, ফেরিঘাট ও ট্রলার ঘাটের ইজারাদার হানিফ মাদবরসহ ঘাট সংশ্লিষ্টরা। বিডি প্রতিদিন/এমআই
শিমুলিয়া, ঘাট, নিরাপদ, পারাপার, সভা
শিমুলিয়া ঘাট নিরাপদে পারাপার নিশ্চতকরণে সভা।
national
https://www.bhorerkagoj.com/2020/09/18/%e0%a6%b6%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%ac%e0%a6%b0%e0%a7%80-%e0%a6%a6%e0%a6%a4%e0%a7%8d%e0%a6%a4%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%85%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%ad%e0%a6%be%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%95/
শর্বরী দত্তের অস্বাভাবিক মৃত্যু, বাকরুদ্ধ টলিউড
কলকাতার শোবিজ অঙ্গনের সুপরিচিত মুখ কিংবদন্তি ফ্যাশন ডিজাইনার শর্বরী দত্তের অস্বাভাবিক মৃত্যু নিয়ে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছে গোটা টালিউড। তার কোনো রকম অসুস্থতা ছিল না। সুস্থ স্বাভাবিক ছিলেন তিনি। তাহলে কেন এভাবে চলে যাওয়া? শর্বরী দত্তের মৃত্যুর খবর শুনে কার্যত বাকরুদ্ধ টলিগঞ্জ। শোক প্রকাশ করেছেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রসেনজিৎ, অরিন্দম শীল, সুদীপ্তা চক্রবর্তী, শ্রাবন্তী, রুক্মিনী, রাজ চক্রবর্তী প্রমুখ। তবে কেন, কীভাবে তার মৃত্যু হলো? এ প্রশ্ন এখন সবাইকে চিন্তিত করছে। বৃহস্পতিবার (১৭) দিনগত মাঝরাতে নিজ বাড়ির বাথরুম থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এর আগে মঙ্গলবার রাতে খাওয়ার সময় শর্বরীর সঙ্গে শেষবারের মতো দেখা হয়েছিল পরিবারের সদস্যদের। তবে তাকে ফোনেও পাওয়া যাচ্ছিল না বলেও পরিবারের সদস্যদের দাবি। তাদের ধারণা, বাথরুমে পড়ে গিয়ে তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হতে পারেন। তবে কী কারণে কিংবদন্তী এই ডিজাইনারের মৃত্যু হয়েছে তা খতিয়ে দেখছে কলকাতা পুলিশের ফরেনসিক বিভাগ। নব্বইয়ের দশকে ভারতীয় পুরুষের পোশাকে বৈপ্লবিক পরিবর্তনের প্রত্যাবর্তন ঘটান শর্বরী দত্ত। ভারতীয় ফ্যাশন দুনিয়ায় পুরুষ ফ্যাশনে নতুন দিগন্তের সূচনা করেছিলেন তিনি। পাশ্চাত্য প্রভাব ঝেড়ে ফেলে ভারতীয় পরম্পরার পোশাক রচনায় পথিকৃত ছিলেন।
ডিজাইনার,ফ্যাশন,শর্বরী দত্ত
শর্বরী দত্ত
entertainment
https://www.bd-pratidin.com/city-news/2020/07/24/551259
বাংলাদেশ প্রতিদিনের সাংবাদিক আলী আফতাবের পিতার ইন্তেকাল
বাংলাদেশ প্রতিদিনের ফিচারবিভাগের সাংবাদিক আলী আফতাব ভূঁইয়ার বাবা আলী আহমেদ ভূঁইয়া (৬৭) আর নেই। আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীর উত্তরার একটি হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। আলী আহমেদ ভূঁইয়া দীর্ঘ দিন যাবৎ কিডনি রোগসহ অন্যান্য জটিলতায় ভুগছিলেন। আলী আফতাবের পিতার মৃত্যুতে বাংলাদেশ প্রতিদিন পরিবার গভীর শোক প্রকাশ এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেছে। বিডি প্রতিদিন/কালাম
null
আলী আহমেদ ভূঁইয়া।
national
https://www.bd-pratidin.com/life/2021/08/04/676915
টান টান উজ্জ্বল ত্বক পেতে পুদিনা পাতা
পুদিনা পাতা ত্বককে সুস্থ্য রাখে। এটি একটি চমৎকার ক্লিনজার, টোনার এবং ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে। স্কিন কেয়ার রুটিনে পুদিনা পাতা যোগ করার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। পুদিনা পাতা স্যালিসিলিক অ্যাসিড এবং ভিটামিন-এ থাকে যা ব্রণও নিরাময় করে। পুদিনা পাতা হালকা অ্যাস্ট্রিঞ্জেন্ট হিসেবে কাজ করতে পারে, যা ত্বককে স্বাভাবিকভাবে টোন করতে সাহায্য করে। এটি ত্বককে কোমল, হাইড্রেটেড এবং টোন করে তোলে। পুদিনা পাতার প্যাক লাগিয়ে ২০ থেকে ২৫ মিনিট রেখে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। পুদিনা পাতায় থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট চোখের নিচের কালো দাগ কমাতে সাহায্য করে। এই পাতার পেস্ট চোখের নিচে রাখলে ডার্ক সার্কেলের উপস্থিতি কমাবে। পুদিনা পাতায় অ্যান্টি-সেপটিকের বৈশিষ্ট্য থাকায়, ত্বকের দাগ ও ফুসকুড়ি দূর করে। নিশ্ছিদ্র এবং উজ্জ্বল ত্বক পেতে পুদিনা পাতার রস ব্যবহার করতে বলেছেন বিশেষজ্ঞরা। সূত্র: জিনিউজ বিডি প্রতিদিন/কালাম
উজ্জ্বল, ত্বক, পুদিনা, পাতা
টান টান উজ্জ্বল ত্বক পেতে পুদিনা পাতা
life-health
https://samakal.com/whole-country/article/1712881/চট্টগ্রামের-মাটি-ও-মানুষকে-ভালোবাসতেন-মহিউদ্দিন-ওবায়দুল-
চট্টগ্রামের মাটি ও মানুষকে ভালোবাসতেন মহিউদ্দিন: ওবায়দুল
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, চট্টগ্রামকে সবুজ, পরিচ্ছন্ন ও জলাবদ্ধতামুক্ত নগর গড়ে তোলার স্বপ্ন ছিল এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর। এটি বাস্তবায়ন হলে উনার স্বপ্ন পূরণ হবে।শুক্রবার সাবেক মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর মৃত্যুর খবরে ঢাকা থেকে ছুটে আসেন তিনি। নগরের ষোলশহর দুই নম্বর গেইটের চশমা হিলের বাসায় প্রয়াত প্রবীণ এ নেতার বাসায় গিয়ে তার পরিবারের সদস্যদের সমবেদনাও ওবায়দুল কাদের। স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে তিনি আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন।ওবায়দুল কাদের বলেন, এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীকে মন্ত্রী করতে চেয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু তিনি রাজি হননি। দলের প্রেসিডিয়াম সদস্যও করতে চেয়েছিলেন, তাও মহিউদ্দিন ভাই রাজি হননি। তিনি চট্টগ্রাম ছাড়তে চাননি। মহিউদ্দিন ভাই বলতেন, আমার স্বপ্ন, আমার ধ্যান, আমার প্রাণ, আমার সবকিছুই হচ্ছে চট্টগ্রাম। চট্টগ্রামের বাইরের নেতা হওয়ার আমার কোনো স্বপ্ন নেই।'আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর হৃদয়জুড়ে, অন্তরজুড়ে শুধুই চট্টগ্রাম, এই মাটি ও মানুষকে ভালোবাসতেন। আজকে চট্টগ্রামে যে বাঁধ ভাঙা শোকাতুর মানুষ দেখছি, সেটা থেকেই বোঝা যায় তার প্রতি মানুষের ভালোবাসা কতটা প্রকট। চট্টগ্রাম মহিউদ্দিন চৌধুরীর, মহিউদ্দিন চৌধুরী চট্টগ্রামের।তিনি বলেন, মহিউদ্দিন ভাইয়ের মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর চোখের পানি আটকে রাখতে পারিনি। ঢাকার অনেক নেতাকর্মীও কান্নায় ভেঙে পড়েছেন।হৃদরোগ ও কিডনি জটিলতায় আক্রান্ত ৭৩ বছর বয়সী মহিউদ্দিন চৌধুরীকে বৃহস্পতিবার দুপুরে নগরের বেসরকারি ম্যাক্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সন্ধ্যার দিকে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। রাত ৩টার পর মহিউদ্দিনের বড় ছেলে মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল তার বাবার মৃত্যু সংবাদ ঘোষণা করার পরপরই দলের নেতাকর্মী ও শুভানুধ্যায়ীরা কান্নায় ভেঙে পড়েন।শুক্রবার সকালে মহিউদ্দিন চৌধুরীর মরদেহ নগরীর ষোলশহর দুই নম্বর গেইটের চশমা হিলে তার বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেও হাজার হাজার নেতাকর্মী জড়ো হন তাদের প্রিয় নেতাকে শেষবার দেখতে। কেবল রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী নন, সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্ন কর্মী থেকে শুরু করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, চিকিৎসক, আইনজীবী, সাংবাদিক, রিকশা চালকসহ সব শ্রেণি পেশার মানুষ অংশ নিয়েছিলেন তার অন্তিমযাত্রায়।
এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী
প্রয়াত এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর বাসায় গিয়ে সমবেদনা জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের
national
https://www.ajkerpatrika.com/72251/%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%8F%E0%A6%B8%E0%A6%86%E0%A6%B0-%E0%A6%85%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%93%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A1-%E0%A6%9C%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A6%B2-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%82%E0%A6%95
সিএসআর অ্যাওয়ার্ড' জিতল বাংলালিংক
কর্ম জবস বাই গুগলের সঙ্গে 'কর্মসংস্থানের মাধ্যমে ক্ষমতায়ন' উদ্যোগের জন্য ফিন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন বিভাগে 'সিএসআর অ্যাওয়ার্ড' জিতেছে বাংলালিংক। দ্য ডেইলি স্টার এবং সিএসআর উইন্ডো বাংলাদেশ যৌথভাবে এই অ্যাওয়ার্ডটির আয়োজন করেছে।উদ্ভাবনী ও বিশ্বমানের করপোরেট সামাজিক দায়িত্ব পালন করার লক্ষ্যে বিভিন্ন সামাজিক উদ্যোগ, প্রকল্প ও সমাজে দীর্ঘস্থায়ী পরিবর্তন আনতে বাস্তবায়িত কর্মসূচির জন্য করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোকে স্বীকৃতি দিতে এই আয়োজন করা হয়। বাংলালিংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এরিক অস প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে অ্যাওয়ার্ডটি গ্রহণ করেন।এ সময় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলালিংকের চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স কর্মকর্তা তাইমুর রহমান এবং হেড অফ করপোরেট কমিউনিকেশনস অ্যান্ড সাস্টেইনেবিলিটির আংকিত সুরেকা।চাকরিপ্রার্থীদের এন্ট্রি লেভেলের চাকরি খুঁজে পেতে সহায়তা করার লক্ষ্যে চাকরি-ম্যাচিং অ্যাপ কর্ম জবসের সঙ্গে পার্টনারশিপ করেছে বাংলালিংক। পার্টনারশিপের অংশ হিসেবে নির্ধারিত বাংলালিংক কাস্টমার কেয়ার সেন্টারে পৃথক কর্ম জবস কিয়স্ক স্থাপন করেছে বাংলালিংক। কিয়স্কগুলিতে কর্ম প্রতিনিধিরা চাকরিপ্রার্থীদের কর্ম জবস অ্যাপ ব্যবহার করে পছন্দসই চাকরি খুঁজে পেতে ও প্রয়োজনীয় বিভিন্ন লার্নিং রিসোর্সে অ্যাকসেস পেতে সহায়তা করবে।একই সঙ্গে দেশে তরুণদের কর্মসংস্থান বৃদ্ধির লক্ষ্যে স্ট্র্যাটেজিক পার্টনার হিসেবে বাংলালিংক ও কর্ম জবস যৌথভাবে বিভিন্ন ভার্চুয়াল ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট সেশন, জব ফেয়ার এবং অন্যান্য কর্মসূচির আয়োজন করে থাকে। এই সিএসআর প্রকল্পের মাধ্যমে তরুণদের ক্ষমতায়নে অনুকরণীয় ভূমিকা পালন করার জন্য পাঁচটি ফাইনালিস্টের মধ্যে থেকে বাংলালিংককে বিজয়ী হিসেবে নির্বাচিত করা হয়।বাংলালিংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এরিক অস বলেন, সামাজিকভাবে দায়িত্বশীল একটি করপোরেট প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাংলালিংক যেসব ভূমিকা পালন করছে তার প্রমাণ মর্যাদাপূর্ণ এই পুরস্কার। এই স্বীকৃতির জন্য আমরা অত্যন্ত আনন্দিত এবং গর্বিত। আমাদের দেশে অনেক প্রতিভাবান তরুণ আছে। বিভিন্ন ডিজিটাল উদ্যোগের মাধ্যমে তাঁদের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করার মূল লক্ষ্য নিয়ে আমরা কর্ম জবসের সঙ্গে কাজ করছি। এরই মধ্যে উল্লেখযোগ্য সাফল্য এসেছে এবং আজকের এই স্বীকৃতি দেশের যুবকদের সহায়তা করতে বাংলালিংকের যে প্রচেষ্টা তা বাস্তবায়নে আমাদের আরও অনুপ্রাণিত করবে।কর্ম জবসের কো-লিড ও গুগলের নেক্সট বিলিয়ন ইউজারস ইনিশিয়েটিভের ডিরেক্টর অফ অপারেশনস বিকি রাসেল বলেন, বাংলালিংকের সঙ্গে আমাদের অংশীদারত্ব কর্ম জবস অ্যাপটিকে হাজার হাজার চাকরিপ্রার্থীর কাছে দ্রুত পৌঁছাতে এবং চাকরির বিভিন্ন সুযোগ খুঁজে পেতে তাদের সাহায্য করেছে। আরও চাকরিপ্রার্থীকে সহায়তা ও দেশে তরুণদের কর্মসংস্থান বৃদ্ধি করতে বাংলালিংকের সঙ্গে আমাদের যৌথ উদ্যোগ অব্যাহত রাখতে পেরে আমরা আনন্দিত।
করপোরেট,বাংলালিংক
অনুষ্ঠানে বাংলালিংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এরিক অসের হাতে পুরষ্কার তুলে দেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এম. এ. মান্নান।
economy
https://www.bd-pratidin.com/international-news/2018/03/13/313979
পররাষ্ট্রমন্ত্রী টিলারসনকে সরিয়ে দিলেন ট্রাম্প
বহু বিষয়েই মতবিরোধ ধাকা মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসনকে বরখাস্ত করেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। একই সঙ্গে গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ পরিচালক মাইক পম্পেওকে টিলারসনের স্থলাভিষিক্ত করেছেন তিনি। বিবিসির খবর, বরখাস্ত করার পর এক ট্যুইটে এতদিন(এক বছরের কিছু বেশি সময়) কাজ করার জন্য টিলারসনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সেইসঙ্গে নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও চৎমকার ও সুচারুভাবে তার দায়িত্ব পালন করতে সক্ষম হবেন বলেও আশা প্রকাশ করেন ট্রাম্প। বিডি-প্রতিদিন/১৩ মার্চ, ২০১৮/মাহবুব
null
রেক্স টিলারসন
international
https://www.bhorerkagoj.com/2021/12/25/%e0%a6%9b%e0%a6%be%e0%a6%97%e0%a6%b2%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%96%e0%a7%8e%e0%a6%a8%e0%a6%be%e0%a7%9f-%e0%a7%a9%e0%a7%a6%e0%a7%a6-%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%81%e0%a6%b7-%e0%a6%96%e0%a6%be/
ছাগলের খৎনায় ৩০০ মানুষ খাওয়ালেন দিনমজুর দম্পতি
দাম্পত্যের বয়স প্রায় ২৫। কিন্তু এখনও নিঃসন্তান তারা। দারিদ্র্যের তীব্রতার জন্য আত্মীয়দের কাউকে নিজের বাসায় খেতে দিতে পারেননি। সম্প্রতি তাদের বাড়িতে পালিত একটি ছাগলের দুটি বাচ্চা হয়েছে। এখন সেই ছাগলের বাচ্চা দুটিকেই সন্তানবৎ লালনপালন করছেন এই দম্পতি। বলছিলাম, কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার নন্দলালপুর ইউনিয়নের কাশেমপুর গ্রামের এক দিনমজুর ওহাব এবং তার স্ত্রী লাইলী বেগমের কথা। বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) তারা ছাগল দুটির খৎনা করেছেন। এ উপলক্ষে শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত তাদের বাড়িতে প্রায় ৩০০ স্বজন ও প্রতিবেশী দুপুরের খাবারে অংশ নেন। এদিকে এমন আয়োজনের খবর এলাকায় চাপা থাকেনি। খবর পেয়ে উৎসুক জনতা ছাগলের বাচ্চা দুটি দেখার জন্য ভিড় করেছেন। এলাকাবাসী জানায়, ওহাব ও লাইলী বেগম ২৫ বছর আগে বিয়ে করেন। কিন্তু, এতদিনেও তাদের ঘরে কোনো সন্তান জন্মগ্রহণ করেনি। তবে কয়েকদিন আগে তাদের একটি ছাগলের দুটি বাচ্চা হয়েছে। সেই বাচ্চা দুটির খৎনার আয়োজন করে তারা। এজন্য গত বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ৩০০ মানুষকে খাইয়েছে তারা।
ছাগলের খৎনা
সস্ত্রীক কুষ্টিয়ার দিনমজুর ওহাব।
national
https://www.bd-pratidin.com/minister-spake/2020/06/27/542965
বিএনপিই ক্রসফায়ার-গুম-খুন শুরু করেছিল : তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি'র জন্ম হত্যার রাজনীতির মাধ্যমে এবং তারাই ক্রসফায়ার-গুম-খুন শুরু করেছিল। আজ দুপুরে রাজধানীর মিন্টু রোডে সরকারি বাসভবনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। হাছান মাহমুদ বলেন, প্রকৃত সত্য হলো, খুনের রাজনীতির মাধ্যমেই বিএনপি'র উত্থান। জিয়াউর রহমান নিজের ক্ষমতা নিষ্কণ্টক করার জন্য হাজার হাজার সেনাসদস্যকে হত্যা করেছেন, তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যার সাথে যুক্ত। আর বিএনপি যখন বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে ক্ষমতাসীন, তখনই ক্রসফায়ার চালু করে। অর্থাৎ খুনের রাজনীতির মাধ্যমেই যাদের উন্মেষ ও প্রতিষ্ঠা, যারা দেশে গুম-খুনের রাজনীতি শুরু করেছিল, তারা যখন এ ধরনের কথা বলে, তখন তা হাস্যকর হয়ে দাঁড়ায়। তথ্যমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়ে যে দৃষ্টান্ত তৈরি করেছে এবং করোনা মহামারিতে দেশের খেটে-খাওয়া মানুষের প্রতি রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে যেভাবে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে, তা সারাবিশ্বের সামনে মানবিকতার পরম উদাহরণ। তিনি বলেন, বিএনপি এ ধরনের কোনো উদাহরণ তৈরি করতে পারেনি বরং ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়ে লাখ লাখ মানুষের প্রাণহানির পর সংসদে দাঁড়িয়ে বেগম খালেদা জিয়া চরম দায়িত্বহীনভাবে বলেছিলেন, 'যত মানুষ মারা যাবার কথা ছিল, তত মারা যায়নি। হাছান মাহমুদ বলেন, 'মানুষ আশা করেছিল, করোনার এসময়ে বিএনপি বাদানুবাদের রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসবে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তারা তাদের চিরাচরিত মিথ্যাচার আর বিষোদগারের রাজনীতি ত্যাগ করতে ব্যর্থ হয়েছে। এমনকি তারা মানুষের পাশেও দাঁড়ায়নি। করোনা মহামারির মধ্যে লোক দেখানো ত্রাণ বিতরণের ফটোসেশনের মধ্যেই তাদের কার্যক্রম সীমিত রেখেছে। বিএনপি নেতা-কর্মীদের করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ও মৃত্যুর হার নিয়ে তাদের মহাসচিব মির্জা ফখরুলের বক্তব্য প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'বিশ্লেষকরা যা বলছেন, দেশে করোনায় আক্রান্তদের মধ্যে মৃত্যু হার ১.২৮ শতাংশ আর মির্জা ফখরুল সাহেব বলেছেন, তাদের ২৮৪ জন আক্রান্ত ও ৭৩ জন মৃত্যুবরণ করেছেন, অর্থাৎ বিএনপি'র নেতাকর্মীদের মৃত্যুহার ২১ শতাংশ - এ নিয়ে আপনাদের মতো আরও অনেকেই প্রশ্ন রেখেছেন। তিনি করোনায় আক্রান্ত সকলের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন।' বিডি প্রতিদিন/আরাফাত
null
হাছান মাহমুদ
politics
https://www.ajkerpatrika.com/197740/%E0%A6%95%E0%A7%81%E0%A7%9C%E0%A6%BF%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A7%9C%E0%A6%BF-%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%96%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%95%E0%A7%81%E0%A6%AA%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A7%87-%E0%A6%B9%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%B0
কুড়িগ্রামে বিড়ি কারখানায় শ্রমিককে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ
কুড়িগ্রামে মাঈদুল ইসলাম বাপ্পি (২০) নামে এক বিড়ি শ্রমিককে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে খোকন ইসলাম (২৭) নামে অপর এক বিড়ি শ্রমিকের বিরুদ্ধে। আজ সোমবার বিকেলে কুড়িগ্রাম শহরের পুরোনো রেলস্টেশন এলাকা সংলগ্ন জলিল বিড়ি ফ্যাক্টরিতে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।কুড়িগ্রাম সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মো. শাহরিয়ার এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।নিহত বাপ্পি কুড়িগ্রাম পৌরসভার মাটিকাটা মোড় এলাকার খাদেম আলীর ছেলে। তিনি কুড়িগ্রাম মজিদা আদর্শ ডিগ্রি কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্র। অভিযুক্ত খোকন ইসলাম (২৭) একই এলাকার মাটিকাটা মোড়ের নজিরের ছেলে। ঘটনার পর পরই ফ্যাক্টরি থেকে পালিয়ে যান খোকন।বিড়ি কারখানার শ্রমিক ও স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ জানায়, নিহত মাঈদুল ইসলাম বাপ্পি ও খোকন ইসলাম (২২) জলিল বিড়ি ফ্যাক্টরিতে দিনমজুরের কাজ করেন। সোমবার তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুজনের মধ্যে ঝগড়া লাগে। একপর্যায়ে খোকন কারখানায় থাকা কাগজ কাটা অস্ত্র দিয়ে হঠাৎ মাঈদুলের গলায় আঘাত করে পালিয়ে যায়। কারখানার অন্য শ্রমিকেরা মাঈদুলকে উদ্ধার করে দ্রুত কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।সদর থানার ওসি খান মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে। তদন্ত সাপেক্ষে হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কুড়িগ্রাম,অপরাধ,হত্যা,রংপুর বিভাগ,কারখানা
নিহত শ্রমিক মাঈদুল ইসলাম বাপ্পি।
national
https://www.bhorerkagoj.com/2020/07/21/%e0%a6%b8%e0%a6%be%e0%a6%b9%e0%a6%be%e0%a6%ac%e0%a6%89%e0%a6%a6%e0%a7%8d%e0%a6%a6%e0%a6%bf%e0%a6%a8-%e0%a6%b9%e0%a6%be%e0%a6%b8%e0%a6%aa%e0%a6%be%e0%a6%a4%e0%a6%be%e0%a6%b2%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%8f/
সাহাবউদ্দিন হাসপাতালের এমডি ফয়সাল গ্রেপ্তার
অনুমোদন ছাড়া করোনা পরীক্ষা ও ভুয়া রিপোর্ট দিয়ে প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগে রাজধানীর সাহাবউদ্দিন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ফয়সাল আল ইসলামকে (৩৪) গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশান ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। সোমবার (২০ জুলাই) রাতে রাজধানীর একটি হোটেল থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। র্যাবের লিগ্যাল এন্ড মিডিয়া উইংয়ের সিনিয়র সহকারী পরিচালক এএসপি সুজয় সরকার জানান, সাহাবউদ্দিন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের প্রতারণার দায়ে মামলার এজাহারভুক্ত পলাতক আসামি প্রতিষ্ঠানটির এমডি ফয়সাল আল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর আগে সোমবার (২০ জুলাই) রাত সাড়ে ৮টার দিকে রাজধানীর গুলশান থানায় করোনা পরীক্ষার ভুয়া রিপোর্ট দিয়ে প্রতারণার ও জালিয়াতির অভিযোগে রাজধানীর সাহাবউদ্দিন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনার সঙ্গে জড়িত তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে র্যাব। মামলার বিষয়ে গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান বলেন, মামলায় হাসপাতালের আটক দুইজন ও পলাতক একজনসহ অজ্ঞাতনামা চার থেকে পাঁচ জনকে আসামি করা হয়েছে। থানা সূত্র জানায়, মামলায় সাহাবউদ্দিন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ম্যানেজিং ডিরেক্টর ফয়সাল আল ইসলাম (৩৪), সহকারী পরিচালক ডা. মো. আবুল হাসনাত (৫২) এবং ইনভেন্টরি কর্মকর্তা শাহরিজ কবির সাদির (৩৩) নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া মামলায় অজ্ঞাত আরও চার থেকে পাঁচ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলার উল্লেখিত দুই আসামি গ্রেপ্তার থাকলেও হাসপাতালের এমডি ফয়সালকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছিলেন র্যাব সদস্যরা।
এমডি,গ্রেপ্তার,সাহাবউদ্দিন হাসপাতাল
সাহাবউদ্দিন হাসপাতালের এমডি
national
https://www.ajkerpatrika.com/68305/%E0%A6%B2%E0%A7%8B%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%97%E0%A7%9C%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%8F%E0%A6%95-%E0%A6%AF%E0%A7%81%E0%A6%AC%E0%A6%95%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%95%E0%A7%81%E0%A6%AA%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A7%87-%E0%A6%B9%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE
লোহাগড়ায় এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার চরমল্লিকপুর গ্রামে পলাশ শেখ (৩০) নামের এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। গত সোমবার দিবাগত রাত ৯টার দিকে উপজেলার চরমল্লিকপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত পলাশ একই গ্রামের মো. খোকন শেখের ছেলে।এলাকাবাসী ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গতকাল রাতে পলাশ শেখ একই গ্রামের রুবেল শেখের বাড়িতে দাওয়াত খেতে যান। দাওয়াত খেয়ে আসার পথে দুর্বৃত্তরা অতর্কিতভাবে তাঁর ওপর হামলা চালায়। এ সময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁর মাথা, পাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন পলাশকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে লোহাগড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত্যু ঘোষণা করেন।লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ আবু হেনা মিলন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এর সত্যতা স্বীকার করে বলেন, হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ নড়াইল সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর হয়েছে। এ ঘটনায় এখনো পর্যন্ত থানায় কোনো মামলা হয়নি।
অপরাধ,হত্যা,খুলনা বিভাগ,হামলা,লোহাগড়া,নড়াইল
লোহাগড়ায় এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা
national
https://samakal.com/bangladesh/article/2203101073/হারিছ-চৌধুরীর-ডিএনএ-পরীক্ষায়-যাচ্ছে-সিআইডি
হারিছ চৌধুরীর ডিএনএ পরীক্ষায় যাচ্ছে সিআইডি
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক উপদেষ্টা ও একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার যাবজ্জীবন দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামি হারিছ চৌধুরীর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হতে শেষ পর্যন্ত ডিএনএ টেস্টে যাচ্ছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ-সিআইডি। আদালতের অনুমতি নিয়ে কবর থেকে তোলা হবে সেই লাশ। তবে এরপর মরদেহ থেকে আলামত নিয়ে হারিছের আপন ভাই ও সন্তানের চুল বা কোনো আলামত নিয়ে তার ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে। সংস্থাটি বলছে, এতে হয়তো সব সন্দেহ আর রহস্যের জট খুলবে। সিআইডির একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা শনিবার সমকালকে এ তথ্য জানান। তবে পরীক্ষা-নিরীক্ষায় প্রমাণের আগে আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোলে হারিছের নামে যে রেড ওয়ারেন্ট ঝুলছে তা সরছে না। বাংলাদেশ পুলিশের হয়ে ইন্টারপোলের সঙ্গে সার্বিক বিষয়ে কার্যক্রম সমন্বয় করে পুলিশ সদর দপ্তরের ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরো (এনসিবি)। এনসিবির সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) মহিউল ইসলাম সমকালকে বলেন, সিআইডির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হারিছ চৌধুরীর নামে রেড নোটিশ জারি করা হয়। তার মারা যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হতে সিআইডিকে চিঠি দিয়েছিলাম আমরা। সপ্তাহ তিনেক আগে এর জবাবও আমাদের কাছে এসেছে। তবে সিআইডি যে জবাব দিয়েছে তাতে হারিছের মৃত্যুর বিষয়টি অস্পষ্ট। তাই আমরা সিআইডিকে দ্বিতীয় দফায় চিঠি দিয়ে বলেছি, প্রশ্নের উত্তর স্পষ্টভাবে জানাতে। মারা যাওয়ার বিষয়টি তারা শতভাগ নিশ্চিত না করলে রেড নোটিশ তোলা যাবে না। সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি ইমাম হোসেন বলেন, হারিছ চৌধুরীর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হতে আদালতের অনুমতি নিয়ে কবর থেকে লাশ তোলা হবে। ডিএনএ টেস্টে সব রহস্যের জট খুলবে। সাম্প্রতিক সময়ে গণমাধ্যমে এসেছে হারিছ চৌধুরী তার নাম-পরিচয় গোপন করে মাহমুদুর রহমান সেজেছেন। ওই পরিচয়ে জাতীয় পরিচয়পত্রও তৈরি করেন। ইন্টারপোলের রেড নোটিশধারী হারিছ সব গোয়েন্দার চোখে ধুলা দিয়ে প্রায় ১১ বছর ঢাকায় অবস্থায় করছিলেন। ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালেই গত ৩ সেপ্টেম্বর তার মৃত্যু হয়। এসব খবরে মাহমুদুর রহমান পরিচয়ে হারিছকে ঢাকার সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নের জালালাবাদের কমলাপুর এলাকায় জামিয়া খাতামুন্নাবিয়ীন মাদ্রাসার কবরস্থানে ৪ সেপ্টেম্বর দাফন করা হয় বলেও দাবি করা হয়। গণমাধ্যমে এমন তথ্য প্রকাশের পর গতকাল পর্যন্ত পুলিশ নিশ্চিত হতে পারেনি মাহমুদুর রহমানই হারিছ চৌধুরী। তবে পরিচয় নিশ্চিত হতে শুরু হয়েছে নানামুখী তদন্ত। শিগগির কমলাপুর এলাকার ওই কবরস্থান থেকে তোলা হবে মাহমুদুর রহমান পরিচয়ে দাফন করা সেই মরদেহ। এ ছাড়া কীভাবে আরেকজনের তথ্য ব্যবহার করে হারিছ চৌধুরী নিজের পরিচয় গোপন করে এনআইডি তৈরি করলেন তা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। গত বছরের শেষ দিকে কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে হারিছের মৃত্যুর খবর আসে। কোথাও বলা হচ্ছিল হারিছ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ঢাকায় মারা গেছেন। কোথাও বলা হয়, হারিছ মারা গেছেন লন্ডনে। ইন্টারপোলের ওয়েবসাইটে শনিবার বিকেলেও ভিজিট করে দেখা যায়, হারিছের জন্ম ১৯৫২ সালের ১ নভেম্বর। জন্মস্থান সিলেটের কানাইঘাটের দর্পণ নগরে। সিআইডির একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা সমকালকে বলেন, প্রথম এনসিবির যে চিঠির জবাব তারা দিয়েছেন তখন তাদের কাছে পর্যাপ্ত তথ্য ছিল না। এখন বিষয়টি নিশ্চিত হতে তারা ডিএনএ টেস্ট করাবেন। এরপর এনসিবিকে জানাবেন। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলাটি তদন্ত করেছিল সিআইডি। ওই সংস্থার আবেদনের পর হারিছ চৌধুরীসহ ওই মামলার পলাতক কয়েক আসামির বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারির আবেদন করা হয় ইন্টারপোলে। সংস্থাটি যাচাই-বাছাই শেষে ছবিসহ রেড নোটিশ তাদের ওয়েবসাইটে দেয়। যে ঠিকানা ব্যবহার করে মাহমুদুর রহমান অ্যাপোলো সেজে হারিছ চৌধুরীর মৃত্যু সনদ নেওয়া হয়েছে সেটি হলো রাজধানীর উত্তরার ৪ নম্বর সেক্টরের ১৩ নম্বর একটি বাসা। তবে বাসার এবি-২ নম্বর ফ্ল্যাটের মালিকের নাম মাহমুদুর রহমান। তিনি পেশায় মেরিন ইঞ্জিনিয়ার। পৈতৃকভাবে তিনি ফ্ল্যাট পান। এখনও মাহমুদুর রহমান জীবিত আছেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একজন কর্মকর্তা জানান, মাহমুদুর রহমান নামে হারিছ চৌধুরী পাসপোর্ট ও এনআইডি তৈরি করে বছরের পর বছর ঢাকায় আত্মগোপন করে থাকার খবরটি বিস্ময়কর। পাসপোর্টের তথ্য এসবি তদন্ত করে থাকে। কিছুদিন আগে হারিছ চৌধুরীর মৃত্যু নিয়ে তার চাচাতো ভাই আশিক চৌধুরী ফেসবুক স্ট্যাটাসে ইঙ্গিত দিলেও সরাসরি কিছু বলেননি। পরে তিনি সাংবাদিকদের জানান, হারিছ চৌধুরী লন্ডনে মারা গেছেন। এরই মধ্যে হারিছ চৌধুরীর মেয়ে সামীরা তানজীন চৌধুরী (মুন্নু) জানান, তার বাবা গত ৩ সেপ্টেম্বরে ঢাকার একটি হাসপাতালে মারা যান। হারিছ চৌধুরীর মৃত্যু, দাফন ও ঢাকায় আত্মগোপনে থাকাসহ নানা তথ্য তুলে ধরেন তিনি। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলায় ২৪ জন নিহত হন। এতে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ বহু নেতাকর্মী আহত হন। ওই হামলার ঘটনায় ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর আদালত ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও ১৯ জনকে যাবজ্জীবন এবং ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে দ দেন। দণ্ড পাওয়া এ আসামিদের মধ্যে হারিছ চৌধুরীসহ ১৮ জন ঘটনার পর থেকে বিভিন্ন সময়ে আত্মগোপনে চলে যায়।
বিএনপি,খালেদা জিয়া,রাজনৈতিক উপদেষ্টা,একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা,হারিছ চৌধুরী
হারিছ চৌধুরী
national
https://www.bd-pratidin.com/open-air-theater/2020/10/30/582273
অনেক নর-নারীর সংসদে আসাটাও রহস্যময়
রাজনীতিটা এতো সস্তা হয়ে গেছে যে, যেখানে জাতীয় বীর, আদর্শিক লড়াকু নেতারা কোথাও নেই, সেখানে অনেক অযোগ্যের কপালে পদবী, সংসদ, কেবিনেটে জায়গা জুটে! রাজনীতিতে এখন সংগঠক বীরত্ব আদর্শের পথ নয়, বায়ান্নো বাজার তেপ্পান্ন গলির পথটাই আসল। যার যা খুশি তা হতে চায়। সময়টা এখন তাদের। এ রাজনীতি আমাদের অচেনা। নষ্টরা দিন দিন সব জায়গা দখল করে নিল অনেক নর-নারীর সংসদে আসাটাও রহস্যময়। একদিন আমলনামা লেখা হবে নিশ্চয়। মাঠে নেই, সংগ্রামে নেই, অতীত বীরত্বের নেই, কতজনের আছে কদর্য কুৎসিত অভিযোগ। তবু কাদের পদধূলি নিয়ে বা অন্যভাবে খুশি করে আজ কর্মী মানুষ মানুক বা না মানুক তারাই নেতা, তারাই এমপি। কি বীরত্ব সংগ্রাম আর আদর্শিক রাজনীতির সংগ্রামের সাধনা এ দেশ! এমন কি হবার কথা ছিল? লেখক: নির্বাহী সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন। বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন
null
পীর হাবিবুর রহমান
entertainment
https://www.ajkerpatrika.com/23697/%E0%A6%AC%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A7%80%E0%A6%B0-%E0%A6%AB%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%9F-%E0%A6%AA%E0%A7%87%E0%A7%9F%E0%A7%87%E0%A6%9B%E0%A7%87%E0%A6%A8-%E0%A6%AD%E0%A6%AC%E0%A6%A8-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%93
বস্তিবাসীর ফ্ল্যাট পেয়েছেন ভবন মালিকেরাও
'সরকার আমাগো ফ্ল্যাট দিবে কইয়া, বড়লোকদের ফ্ল্যাট দিসে। আমাগো থাকোনের জায়গা নাই। আমাগো চিন্তা সরকার করলেও ঘুষখোররা কি আর আমাগো চিন্তা করে। হেরা চিন্তা করে টাকার'। বস্তি উচ্ছেদ করে আধুনিক ভবন নির্মাণ করে তাঁদের জন্য ফ্ল্যাট বরাদ্দের কথা থাকলেও সেই ফ্ল্যাট পেয়েছেন এখন অনেক ভবন মালিকেরা। সেই আক্ষেপ প্রকাশ করেই কথা গুলো বলেন আকলিমা বেগম।রাজধানীর মিরপুরে বস্তিবাসীদের জন্য ১৪৯ কোটি টাকা ব্যয়ে বহুতল ভবনে ৫৩৩টি আধুনিক ফ্ল্যাট নির্মাণ করেছে সরকার। তবে এসব ফ্ল্যাটের বরাদ্দে রয়েছে অনেক ভবন মালিক। যাদের রয়েছে নিজস্ব দলান ও আর্থিকভাবে সচ্ছলতা।ফ্ল্যাট বরাদ্দের তালিকায় হালিমা নামের এক ভবন মালিকের নাম রয়েছে। হালিমার স্বামী বলেন, 'আমার বউর মাধ্যমে আমি একটি তিন তলা বাড়ি পেয়েছি। তা ছাড়া আমার ভাঙারির দোকান আছে।' স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, হালিমার স্বামী মিন্টু মিয়ার ভাঙ্গারির দোকান নয়, আছে একটি থাই এর দোকান। আগে তাঁর দোকানে চারজন কর্মচারী ছিল। কিন্তু লকডাউনের মধ্যে দোকান না খুলতে পারায় কর্মচারীদের বিদায় দিয়ে এখন সে নিজেই দোকান চালায়।ভবন নির্মাণের জন্য বাউনিয়া বাঁধ কলাবাগান বস্তির যেসব বাসিন্দাদের উচ্ছেদ করা হয়েছে, তাদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ভাড়াভিত্তিক ফ্ল্যাট বরাদ্দ দেওয়ার কথা থাকলেও তা করা হয়নি বলে অভিযোগ করেন বস্তিবাসী। এসব অভিযোগের প্রতিকার চেয়ে মঙ্গলবার জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ ঢাকা ডিভিশন ১-এর নির্বাহী প্রকৌশলীর কাছে কলাবাগান বস্তিবাসীর পক্ষে লিখিত অভিযোগ জমা দেন বস্তির বাসিন্দা শেখ জাহাঙ্গীর।অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, ২৫ বছর ধরে কলাবাগান বস্তিতে মানবেতর জীবনযাপন করছি। সম্প্রতি বস্তিবাসীর জন্য প্রধানমন্ত্রীর উপহারের যে ৩০০টি ফ্ল্যাট ভাড়ার ভিত্তিতে হস্তান্তর করা হয়েছে, সেখানে আমার মতো অনেক অসহায় গৃহহীন বস্তিবাসীর কপালে ফ্ল্যাট জোটেনি। অথচ যাদের নিজস্ব ৫ তলা, ৬ তলা কিংবা বাড়ি রয়েছে, এদের অনেকেই ফ্ল্যাট বরাদ্দ পেয়েছেন। আবার একই পরিবারের ১২ থেকে ১৯ জন সদস্যও ফ্ল্যাট পেয়েছেন। এর মধ্যে এক চিহ্নিত বিএনপি নেত্রী রয়েছেন, যার পরিবারের ১৯ জন সদস্য রয়েছে। আবার যাদের ভোটার আইডি কার্ডে বস্তি লেখা নেই, তাদেরও ফ্ল্যাট দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি বাউনিয়া বাঁধের ২ হাজার ৬০০ বাস্তুহারা পরিবারের যারা দলিল পেয়েছেন, তাঁদের অনেকে ফ্ল্যাট পেয়েছেন। বস্তিতে যারা একসময় বসবাস করতেন, পরবর্তী সময়ে তাঁরা বস্তি ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছেন। তাঁদের অনেকে টাকা দিয়ে ফ্ল্যাট বরাদ্দ নিয়েছেন।অভিযোগ পত্রে শেখ জাহাঙ্গীর কয়েকজন ব্যক্তির নাম উল্লেখ করেন, জাদের রয়েছে নিজস্ব ভবন। তারা হলেন, পারভীন, রেহেনা, হালিমা, আব্দুর রশিদ, শাহজাহান মিয়া, নজরুল ইসলাম নাঈম, সেন্টু, জহির, রফিক, হাবু, জাহাঙ্গীর, আকরাম, আক্কাস, মোশারফ ও তাছলিমা।এসব নামের তালিকা ধরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, হালিমা ২ নম্বর ভবনের ৮ম তলায় একটি ফ্ল্যাটের বরাদ্দপত্র পেয়েছেন। হালিমার স্বামীর নাম মিন্টু। তাদের বাউনিয়া বাঁধ ই ব্লকে ১১ নম্বর লাইনে একটি তিনতলা বাড়ি রয়েছে। রেহেনার বাউনিয়া বাঁধ বি ব্লকের ২১ নম্বর লাইনে একটি ছয়তলা বাড়ি রয়েছে। রেহেনার স্বামীর নাম হাকিম। বাসা নম্বর ৬। আক্কাসের বি ব্লকের ২১ নম্বর লাইনে ২ তলা বাড়ি রয়েছে। পিতার নাম ফেলু খাঁ। বাসা নম্বর ৭। আব্দুর রশিদের বি ব্লকের ২০ নম্বর লাইনে ৫ তলা বাড়ি রয়েছে। পিতার নাম সুন্দর আলী বাসা নম্বর ৯। পারভীনের ই ব্লকের ৮ নম্বর লাইনে ৩ তলা বাড়ি রয়েছে। পিতার নাম কালু শিয়ালী। বাসা নম্বর ৯। হালেমার বি ব্লকের ১১ নম্বর লাইনে ৩ তলা বাড়ি রয়েছে। পিতার নাম আলম বাড়ি নম্বর ১।জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ ঢাকা অঞ্চল ১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী জোয়ারদার তাবেদুন নবী আজকের পত্রিকাকে বলেন, 'ভাড়াভিত্তিক ৩০০ ফ্ল্যাটের মধ্যে ২৭২টি ফ্ল্যাটের ভাড়াপত্রের তালিকা সংসদ সদস্য থেকেই এসেছে। সে অনুযায়ী আমরা ভাড়া পত্র দিয়েছি তবে এখনো চুক্তি পত্র দেওয়া হয়নি। চুক্তিপত্র দেওয়ার আগে আমরা সঠিকভাবে যাচাই-বাছাই করে হস্তান্তর করব।'
রাজধানী,ঢাকা বিভাগ,মিরপুর,বস্তি
৩০০টি ফ্ল্যাট ভাড়ার ভিত্তিতে হস্তান্তর করা হয়েছে। বস্তিবাসীর ফ্ল্যাট পেয়েছেন অনেক ভবন মালিকেরাও।
national
https://www.bhorerkagoj.com/2020/02/06/%e0%a6%ab%e0%a6%be%e0%a6%87%e0%a6%a8%e0%a6%be%e0%a6%b2%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%b2%e0%a6%95%e0%a7%8d%e0%a6%b7%e0%a7%87-%e0%a6%ab%e0%a6%bf%e0%a6%b2%e0%a7%8d%e0%a6%a1%e0%a6%bf%e0%a6%82%e0%a7%9f%e0%a7%87/
ফাইনালের টার্গেটে ফিল্ডিং বেছে নিল যুবারা
অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টস জিতে ফিল্ডিং বেছে নিয়েছে বাংলাদেশের যুবা টাইগাররা। পচেফস্ট্রমের সেনউইস ক্রিকেট স্টেডিয়াম ম্যাচটি দুপুর দুইটায় শুরু হবে। এর আগে 'সি' গ্রুপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে জিম্বাবুয়েকে বৃষ্টি আইনে ৯ উইকেটে, দ্বিতীয় ম্যাচে স্কটল্যান্ডকে ৭ উইকেট হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করে বাংলাদেশ। তবে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে বৃষ্টির কারণে পয়েন্ট ভাগাভাগি করতে হয়েছে। ৩ ম্যাচে ৫ পয়েন্ট নিয়ে রান রেটে এগিয়ে থেকে 'সি' গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ। দ্বিতীয় কোয়ার্টার ফাইনালে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ২ উইকেটে হারিয়ে সেমিফাইনালে ওঠে নিউজিল্যান্ড। এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকার বেনোনিতে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে দ্বিতীয় কোয়ার্টার ফাইনালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ যুবাদের দেয়া ২৪০ রানের লক্ষ্যে নিউজিল্যান্ড ২ উইকেটে জয় তুলে নেয়। অপরদিকে শেষ চারে ওঠার লড়াইয়ে বাংলাদেশ স্রেফ উড়িয়ে দেয় দক্ষিণ আফ্রিকাকে। ১০৪ রানের বিশাল ব্যবধানে স্বাগতিকদের হারিয়ে সেমির টিকেট কাটে বাংলাদেশের তরুণ ক্রিকেটাররা। ২০১৬ সালের আসরে নিজেদের মাঠে প্রথম ও শেষবার টুর্নামেন্টের সেমিতে উঠেছিল তারা। সেমিফাইনালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ৩ উইকেটে হেরে আসর থেকে বিদায় নিতে হয় সেবার। তবে এবার ফাইনালের পথ খুব পরিষ্কার। তিন মাস আগে নিউজিল্যান্ড সফরে গিয়ে তাদের ৪-১ ব্যবধানে সিরিজ হারায় যুব টাইগাররা।
অনূর্ধ্ব-১৯,টাইগার,নিউজিল্যান্ড,বিশ্বকাপ,সেমিফাইনাল
বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড।
sports
https://www.ajkerpatrika.com/101127/%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%87%E0%A6%B0%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%9F%E0%A7%87-%E0%A7%A7%E0%A7%A7-%E0%A6%9C%E0%A6%A8%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%86.%E0%A6%B2%E0%A7%80%E0%A6%97-%E0%A6%A5%E0%A7%87%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%85%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A6%A4%E0%A6%BF
ধামইরহাটে ১১ জনকে আ.লীগ থেকে অব্যাহতি
নওগাঁর ধামইরহাটে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে প্রার্থী হয়েছেন ১১ জন। আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থীদের বিপরীতে বিদ্রোহী হিসেবে নির্বাচন করায় তাঁদের দল থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। গতকাল শনিবার উপজেলা আওয়ামী লীগের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।অব্যাহতি পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন-ধামইরহাট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি এ টি এম বদিউল আলম। আগ্রাদ্বিগুণের সহসভাপতি আব্দুল লতিফ মীর। আলমপুরের যুবলীগ সম্পাদক আবু মুছা, সদস্য বেলাল হোসেন। উমারের সহপ্রচার সম্পাদক মাসুদুর রহমান সরকার, যুবলীগের সভাপতি আজহারুল ইসলাম। আড়ানগরের ইউনিয়ন যুবলীগের সম্পাদক মোসাদ্দেকুর রহমান, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রকেট। জাহানপুরের আওয়ামী লীগের নেতা ওসমান আলী। ইসবপুরের সম্পাদক ইমরুল কায়েশ বাদল এবং খেলনার সভাপতি আব্দুস সালাম।সংবাদ বিজ্ঞপ্তি ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে, ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশে উপজেলার আটটি ইউনিয়ন পরিষদের জন্য তৃণমূল থেকে বাছাই করা ব্যক্তিদের দলীয় প্রতীক নৌকা দেওয়া হয়। অন্যদিকে ওইসব ইউপিতে আওয়ামী লীগ মনোনীত দলীয় প্রার্থীদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করায় দলের ঘোষণাপত্র ও গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ওইসব প্রার্থীর পদবিসহ দলের সদস্য পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। ইতিমধ্যে তাঁদের তালিকা কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে।এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. দেলদার হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক সাবেক অধ্যক্ষ মো. শহিদুল ইসলাম সত্যতা নিশ্চিত করে আজকের পত্রিকাকে বলেন, কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশনা অনুযায়ী ইউপি নির্বাচনে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে তাঁদের বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
আওয়ামী লীগ,নওগাঁ,ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন,রাজশাহী বিভাগ,ইউনিয়ন পরিষদ,ইউপি নির্বাচন,ধামইরহাট,ছাপা সংস্করণ,রাজশাহী সংস্করণ,রাজশাহী ৬
ধামইরহাটে ১১ জনকে আ.লীগ থেকে অব্যাহতি
national
https://bangla.dhakatribune.com/bangladesh/2022/02/25/1645780475211
মাঝরাতে ঘরে ধোঁয়া, মেঝেতে মায়ের লাশ-পাশেই বসেছিল ছেলে
মানিকগঞ্জ পৌরসভার বান্দুটিয়া এলাকায় একটি বাড়ির ভেতর থেকে আমেনা বেগম (৭০) নামে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত মাঝরাতে জাতীয় জরুরি সহায়তা নম্বর "৯৯৯"-এ খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে। এ ঘটনায় মৃত আমেনার ছেলে ফিরোজ মিয়াকে (৩০) আটক করেছে পুলিশ। সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রউফ সরকার ঢাকা ট্রিবিউনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মৃতের প্রতিবেশী মো. ফিরোজ মিয়া বলেন, "রাত ১২টার দিকে লোকজনের ডাকাডাকিতে উঠে দেখতে পাই আমেনা বেগমের ঘর থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে। আমরা সবাই মিলে তাদের ডাকতে থাকি। দীর্ঘক্ষণেও সাড়া না পেয়ে পুলিশে খবর দেই। তারা এসে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে দেখতে পায় আমেনা বেগমের মরদেহ খাটের পাশে মেঝেতে এবং তার ছেলে ফিরোজ ঘরের ভেতরেই বসে আছে। এ সময় ঘরের ভেতর একটি প্লাস্টিকের চেয়ারে আগুন জ্বলছিল।" ফিরোজের চাচাতো ভাই শহিদুর রহমান ইউনুছ বলেন, "প্রায় ছয় বছর পর দেড় মাস আগে ফিরোজ প্রবাস থেকে ফেরে। এসেই সে তার মায়ের সঙ্গে দুর্ব্যবহার ও মারধর শুরু করে। অস্বাভাবিক আচরণে মাদকাসক্ত মনে হলে স্বজনরা তাকে মাদক পুনর্বাসন কেন্দ্রে নিয়ে যায়। আচরণের পরিবর্তন না হলে সেখানকার কর্তৃপক্ষ দুই দিন আগে তাকে পাঠিয়ে দেয়। ফিরোজ আর ওর মা এক ঘরেই থাকত।" পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত রাতে মা ও ছেলে ঘরে ঘুমিয়ে ছিল। রাত সাড়ে ১২টার দিকে ঘর থেকে ধোঁয়া উঠতে দেখে স্থানীয়রা ৯৯৯-এর মাধ্যমে পুলিশকে খবর দেয়। ওসি আব্দুর রউফ সরকার বলেন, "ছেলেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে। মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।"
মানিকগঞ্জ,বাংলাদেশ পুলিশ,মৃত্যু
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে মানিকগঞ্জ পৌর এলাকার একটি বাড়ি থেকে এক বৃদ্ধার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মৃতের স্বজনদের আহাজারি
national
https://www.dailynayadiganta.com/dhaka/347247/-নদী-ভাঙ্গনে-ক্ষতিগ্রস্তদের-পাশে-পাশে-বিএনপি-নেত্রী-নাদিরা-মিঠু
নদী ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে পাশে বিএনপি নেত্রী নাদিরা মিঠু
নদী ভাঙ্গন কবলিত ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মরহুম নাজমুল হুদা মিঠু চৌধুরীর সহধর্মনী ও উপজেলা বিএনপি নেত্রী নাদিরা মিঠু চৌধুরী। পদ্মার ভাঙ্গনে নিঃস্ব হয়ে যাওয়া অসহায় মানুষকে নগদ অর্থ ও ত্রাণ দিয়ে সহায়তা করছেন তিনি। এরই মাঝে নাদিরা মিঠু চৌধুরী ও তার দলীয় লোকজন বিভিন্ন ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করছেন।ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের সদস্যদের সাথে তিনি নিজে কথা বলেন ও সাহায্য করেন। শিবচর পৌর বিএনপির সাধারন সম্পাদক মো: ইমতিয়ার চৌধুরী বলেন, শিবচর উপজেলার কাঁঠালবাড়ি, চরজানাজাতসহ পদ্মা নদী বেষ্টিত বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের নদী ভাঙ্গন কবলিত এই মানুষের জন্য কিছু করার ইচ্ছে থেকেই মাদারীপুর-১ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ও উপজেলা বিএনপি নেত্রী নাদিরা মিঠু চৌধুরী তার ব্যক্তিগত তহবিল থেকে নগত অর্থ ও বিভিন্ন উপকরণ নিয়ে সাহায্য করেন। নদী ভাঙ্গন কবলিত এক সময়ের আর্থিক ভাবে স্বচ্ছল এই পরিবারগুলোর কাছে এখন সামান্য সাহায্যই অনেক বড় ব্যাপার। তিনি আরও বলেন, 'সরকারের কাছে আমাদের অনুরোধ থাকবে পদ্মা নদীর ভাঙ্গন কবলিত মানুষের দুঃখ দুর্দশার কথা চিন্তা করে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিবেন।'
null
ত্রাণ বিতরণ করছেন নাদিরা মিঠু চৌধুরী।
national
https://www.bd-pratidin.com/country/2021/11/08/709688
চাঁপাইনবাবগঞ্জে আইডিইবি'র ৫১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত
চাঁপাইনবাবগঞ্জে গণপ্রকৌশল দিবস ও আইডিইবি'র ৫১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে। আজ সোমবার সকাল সাড়ে ১০ টায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভা চত্বরে শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে দিবসের উদ্বোধন করা হয়। পরে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনীয়ার্স বাংলাদেশ আইডিইবি, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শাখার আয়োজনে সংক্ষিপ্ত আলোচনা ও র্যালি বের করা হয়। র্যালির নেতৃত্ব দেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম। সংগঠনটির সভাপতি মো. সাদেকুল ইসলাম। বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ আল সিফাত
চাঁপাইনবাবগঞ্জ, পালিত
-
national
https://www.ajkerpatrika.com/12586/%E0%A6%85%E0%A6%AD%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A7%9F-%E0%A6%9B%E0%A6%BE%E0%A7%9C%E0%A6%BE-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%BF-%E0%A6%B8%E0%A6%AC-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A7%87%E0%A6%87-%E0%A6%86%E0%A6%B2%E0%A7%8B%E0%A6%9A%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A6%AE%E0%A6%A3%E0%A6%BF
অভিনয় ছাড়া বাকি সব নিয়েই আলোচনায় পরীমণি
অভিনয় দিয়ে নয়, ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই এর বাইরের নানা বিষয় দিয়েই আলোচনায় ছিলেন পরীমণি।প্রেম, বিয়ে, ছাড়াছাড়ি, দামি গাড়ি কেনা, ক্লাবে উচ্ছৃঙ্খল আচরণ, মাতলামি-এসব বিষয় নিয়ে বহুদিন ধরেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মুখরোচক আলোচনায় রয়েছেন পরীমণি। সবশেষ ঢাকা বোট ক্লাবে গভীর রাতে তাঁকে ধর্ষণ ও হত্যা চেষ্টার অভিযোগ নিয়ে তোলপাড় হয় দেশজুড়ে। সে ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয় সেই ক্লাবের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য ও ব্যবসায়ী নেতা নাসির উদ্দিন মাহমুদসহ কয়েকজনকে।২০১৫ সালে 'ভালোবাসা সীমাহীন' নামের একটি চলচ্চিত্র দিয়ে বড় পর্দায় অভিনয়জীবন শুরু হয় পরীমণির। কিন্তু প্রথম ছবি মুক্তির আগেই আরও ২৩টি সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হওয়ার খবরে আলোচিত হন তিনি। 'রানা প্লাজা' নামের একটি চলচ্চিত্রে চুক্তিবদ্ধ হন, যদিও তা এখনো মুক্তি পায়নি।মডেলিংয়ের মাধ্যমে শোবিজ দুনিয়ার পা রাখা পরী, নাচের অনুষ্ঠান ও কয়েকটি নাটকে অভিনয় করেছিলেন। এ পর্যন্ত 'স্বপ্নজাল' ও 'বিশ্বসুন্দরী'-এমন দু-একটি হাতেগোনা ব্যবসাসফল সিনেমা ছাড়াও দর্শকনন্দিত কয়েকটি সিনেমায় অভিনয় করেছেন। গত ছয় বছর তাঁর অভিনীত বেশির ভাগ সিনেমাই আলোর মুখ দেখেনি।বিনোদন বিষয়ক এক সাংবাদিকের সঙ্গে ২০১৬ সাল থেকে প্রেমের সম্পর্ক ছিল পরীর। ২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি ভালোবাসা দিবসে ঘোষণা দিয়ে বাগদান করে জানান, পরের বছর একই দিনে বিয়ে করবেন তাঁরা। কিন্তু জুন মাসেই তা ভেস্তে যায়। পরের বছর ৯ মার্চ পরিচালক কামরুজ্জামান রনিকে ৩ টাকা দেনমোহরে বিয়ে করেন। পাঁচ মাসের মাথায় তাঁদের বিচ্ছেদ হয়। এসব নানা ঘটনা নিয়ে বারবারই আলোচনায় এসেছেন পরীমণি। তবে এসব কিছুকে ছাড়িয়ে যায় যখন গত ১৪ জুন সাভার মডেল থানায় ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টা মামলা করেন পরী। ওই দিন বেলা ১১টার দিকে এ মামলা করেন তিনি, যেখানে প্রধান আসামি করা হয় ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদকে।পরীমণি গত ১৩ জুন দিবাগত রাতে প্রথমে তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে পোস্ট দিয়ে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ তোলেন। অভিযোগে গত ৯ জুন (বুধবার) দিবাগত রাতে তাঁর সঙ্গে এ অন্যায় সংঘটিত হয় বলে জানান তিনি। পরে নিজ বাসায় সাংবাদিকদের ডেকে ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরেন।এবার রাজধানীর বনানীতে পরীমণির বাসায় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) চালানো অভিযান নিয়ে আবারও আলোচনায় এলেন পরীমণি। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাঁকে আটক করেছে। তাঁর বাসা থেকে উদ্ধার করেছে বিপুল পরিমাণে বিদেশি মদসহ মাদকদ্রব্য।
ঢাকা জেলা,অপরাধ,র‍্যাব,ঢাকা বিভাগ,পরীমণি,ঢাকা
অভিনয় দিয়ে নয়, ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই এর বাইরের নানা বিষয় দিয়েই আলোচনায় ছিলেন পরীমণি।
national
https://www.ajkerpatrika.com/10414/%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%96-%E0%A6%A5%E0%A7%87%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A7%9F%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%9B%E0%A7%87-%E0%A6%AB%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A6%B2-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%81%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A7%A7%E0%A7%A6%E0%A6%9F%E0%A6%BF
কাকের মুখ থেকে মায়ের কাছে ফিরল বালিহাঁসের ১০টি ছানা
নাটোরের সিংড়ায় মায়ের কাছে ফিরে নতুন জীবন পেল দশটি পাতি সরালি (বালিহাঁস) ছানা। আজ সোমবার সকাল ৯টায় উপজেলার শাহবাজপুর গ্রাম থেকে ছানাগুলো উদ্ধার করে পরিবেশবাদী সংগঠন চলনবিল জীববৈচিত্র্য রক্ষা কমিটির সদস্যরা। পরে মা পাখিকে খুঁজে বের করে ছানাগুলোকে তার কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। গড়ে দেওয়া নিরাপদ আশ্রয়স্থল।চলনবিল জীববৈচিত্র্য রক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম জানান, সকাল ৭টায় উপজেলার শাহবাজপুর গ্রামে প্রায় ৫০ ফুট উঁচু একটি খেজুর গাছ থেকে দশটি পাতি সরালি ছানা পড়ে যায়। মুহূর্তেই ছানাগুলোকে কাক পাখি আক্রমণ করে। কাকের মুখ থেকে ছানাগুলোকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। গ্রামবাসীর মাঝে পাখি রক্ষায় লিফলেট বিতরণ ও পথসভা করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চলনবিল জীববৈচিত্র্য রক্ষা কমিটির সভাপতি অধ্যাপক আখতারুজ্জামান, কলম প্রকৃতি ও পরিবেশ রক্ষা কমিটির সভাপতি সহকারী অধ্যাপক হারুন অর রশিদ, সাংবাদিক ও পরিবেশ কর্মী আব্দুর রশিদ, পরিবেশ কর্মী শামিম খন্দকার, সাকী রেজওয়ান প্রমুখ।
নাটোর,সিংড়া
কাকের মুখ থেকে মায়ের ফিরলো ছানাগুলো।
nature
https://www.ajkerpatrika.com/103536/%E2%80%98%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A5%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%95-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%9F%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A6%BE-%E2%80%99
'প্রচারে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা '
কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রামে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন সামনে রেখে বিভিন্ন প্রার্থীর সঙ্গে প্রচারে অংশ নিচ্ছেন বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা। জনসংযোগ, সভা, সমাবেশে প্রকাশ্যে ভোট চাইছেন তাঁরা। এই শিক্ষকেরাই বিভিন্ন ভোট কেন্দ্রে প্রিসাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার ও পোলিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করবেন। এ কারণে নিরপেক্ষ নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা। এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে এসব ছবি ও ভিডিও।তফসিল অনুযায়ী আগামী ৫ জানুয়ারি এই উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। প্রচার শুরু হবে ২০ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দের পর। কিন্তু মনোনয়নপত্র দাখিলের পর থেকেই নির্বাচন ঘিরে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা ক্রমেই জড়িয়ে পড়ছেন প্রচারণায়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রার্থীদের গণসংযোগের ছবি পোস্ট ও শেয়ার করে ভোট চাইছেন। এ নিয়ে বিব্রত সাধারণ শিক্ষকেরা।উপজেলা নির্বাচন অফিস ও শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নির্বাচনে কোনো প্রার্থীর পক্ষে-বিপক্ষে কোনো ধরনের প্রচার করার নিয়ম নেই। তাঁরা যেহেতু নির্বাচনে ভোটগ্রহণ করবেন, প্রচারণায় অংশ নিলে তাঁদের নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে। ভোটগ্রহণে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা প্রিসাইডিং, পোলিংসহ বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করে থাকেন।সম্প্রতি খয়েরপুর-আব্দুল্লাপুর ইউনিয়নের উত্তর আব্দুল্লাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের (সপ্রাবি) প্রধান শিক্ষক হারুন অর রশীদ ও আদমপুর ইউনিয়নের বালুচর সপ্রাবি প্রধান শিক্ষক মো. রোকন উদ্দিন বিএসসিসহ কয়েকজন শিক্ষক তাঁদের ফেসবুক ওয়ালে বিভিন্ন প্রার্থীর পক্ষে ভোট চেয়ে পোস্ট শেয়ার করেছেন।নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন প্রধান শিক্ষক বলেন, সহকর্মীরা (শিক্ষক) যখন ফেসবুকে ভোট চেয়ে পোস্ট ট্যাগ করেন, তখন সাধারণ শিক্ষকেরা বিব্রত হন। এটা কাম্য নয়।এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, নির্বাচনী প্রচারে শিক্ষকদের অংশগ্রহণ করা উচিত নয়। এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কিশোরগঞ্জ,ঢাকা বিভাগ,ছাপা সংস্করণ,সিলেট সংস্করণ,অষ্টগ্রাম,কিশোরগঞ্জ নরসিংদী ব্রাহ্মণবাড়িয়া
'প্রচারে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা '
national
https://www.bhorerkagoj.com/2021/10/01/%e0%a6%b6%e0%a6%b0%e0%a7%80%e0%a6%b0%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%89%e0%a6%b7%e0%a7%8d%e0%a6%a3%e0%a6%a4%e0%a6%be-%e0%a6%9b%e0%a7%9c%e0%a6%bf%e0%a7%9f%e0%a7%87-%e0%a6%a6%e0%a6%bf%e0%a6%9a%e0%a7%8d/
শরীরের উষ্ণতা ছড়িয়ে দিচ্ছেন পার্নো মিত্র
সাহসী অভিনেত্রী হিসেবে টালিউডে তার পরিচিতি রয়েছে। সেটা সিনেমার পর্দায় হোক কিংবা সোশ্যাল মিডিয়ায়। রাখঢাক একদমই মানতে নারাজ তিনি। সবসময়ই নিজেকে মেলে ধরতে ভালোবাসেন পার্নো। সাহসিকতা তার চলন-বলনে, জীবন আদর্শে। ইনস্টাগ্রামে নিয়মিত ছবি শেয়ার করেন পার্নো। যেগুলোর অধিকাংশেই থাকে তার শরীরের খোলামেলা প্রদর্শনী। কখনো বক্ষবিভাজিকায় ঘায়েল করেন অনুসারীদের, কখনো আবার উন্মুক্ত উরুতে শিহরিত করেন ভক্তদের। গত দু'দিন ধরে কলকাতায় থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। সেই ভেজা আবহাওয়ায় শরীরের উষ্ণতা ছড়িয়ে দিচ্ছেন পার্নো মিত্র। 'সান কিসড' ক্যাপশনে আপলোড করেছেন বোল্ড একটি ছবি। যেখানে তাকে দেখা গেল, বোতাম খোলা শার্টে। অন্তর্বাসের প্রাচীর ছাড়িয়ে শরীরের বিশেষ অঙ্গ উঁকি দিচ্ছে রোদের দিকে। পার্নোর এমন নজরকাড়া অবয়ব দেখে তার ভক্তরা বেজায় খুশি। ছবিটিতে লাইক প্রায় ৫০ হাজার। বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) আরও একটি আবেদনময়ী ছবি আপলোড করেছেন পার্নো। এখানে তিনি রয়েছেন সাদা রঙের ব্লেজারে। ভেতরে রয়েছে একই রঙের টপস। তবে সে টপসের কিনারে দৃশ্যমান তার বক্ষবিভাজিকা। অবশ্য বুকের উপর চুল ছেড়ে দিয়ে আড়ালের চেষ্টা করেছেন অভিনেত্রী। শুক্রবারও (১ অক্টোবর) তরতাজা আরেকটি ছবি শেয়ার করেছেন পার্নো। তার এক হাতে আপেল, অন্য হাতের উপর রেখেছেন মুখের ভার। এ ছবিতেও তার শরীরী আবেদন স্পষ্ট। পার্ন মিত্রের হাতে রয়েছে 'ধর্মযুদ্ধ' সিনেমাটি। রাজ চক্রবর্তীর পরিচালনায় এই সিনেমার কাজ অনেক আগেই শেষ হয়েছে। তবে করোনার কারণে এখনো মুক্তি পায়নি।
null
পার্নো মিত্র
entertainment
https://samakal.com/entertainment/article/19082030/প্রথম-ক্রাশ-ছিলেন-কে
প্রথম 'ক্রাশের' কথা জানালেন কারিনা
২০০০ সালে 'রিফিউজ' ছবির হাত ধরে বলিউডে প্রবেশ কারিনা কাপুরের। এরপর টানা ১৯ বছর ধরে বলিউডে সফলতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। মাঝখানে ছেলে তৈমুর হওয়ার সময় কাজ থেকে কিছুটা বিরতি নিলেও পরে আবারও কাজে ফেরেন লাস্যময়ী এই অভিনেত্রী। বর্তমানে একটি ডান্স রিয়ালিটি শোয়ের বিচারকের দায়িত্ব পালন করছেন ৩৮ বছর বয়সী এ অভিনেত্রী। সেখানেই জানালেন তার জীবনের প্রথম কাউকে ভালো লাগার কথা। আর কারিনার সেই প্রথম 'ক্রাশ' ছিলেন আশিকি তারকা রাহুল রায়। এমন তথ্যই জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো। মহেশ ভাট পরিচালিত ১৯৯০ সালে মুক্তি পাওয়া 'আশিকি' ছবিটি রাতারাতি তারকা বানিয়ে দিয়েছিল রাহুল রায় ও অনু আগরওয়ালকে। কারিনা জানান, রাহুলকে পছন্দ করার কারণে ওই ছবিটি ৮ বার দেখেন তিনি। সম্প্রতি ল্যাকমে ফ্যাশন উইকের র্যাম্পেও দেখা গেছে কারিনা কাপুরকে। এসবের পাশাপাশি 'তখত' এবং 'আংরেজি মিডিয়াম' নামে পর পর দুটি সিনেমায় শুটিংয়ের জন্য ব্যস্ত কারিনা। করণের 'তখত'-এ কারিনা কাপুর খানের সঙ্গে রণবীর সিং, জাহ্নবী কাপুর, ভিকি কৌশলদের স্ক্রিন শেয়ার করতে দেখা যাবে। অন্যদিকে 'আংরেজি মিডিয়ামের' শুটিং ইতিমধ্যেই শুরু করে দিয়েছেন কারিনা বলে জানা গেছে। সূত্র: জিনিউজ
কারিনা কাপুর খান,বিনোদন,বলিউড
কারিনা কাপুর খান
entertainment
https://www.prothomalo.com/opinion/column/যুক্তরাষ্ট্র-চীন-বাণিজ্যযুদ্ধ-কোথায়-নেবে-বিশ্বকে
যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্যযুদ্ধ কোথায় নেবে বিশ্বকে
চীনের সঙ্গে বাণিজ্যযুদ্ধ শুরু করে এরই মধ্যে 'ট্যারিফ ম্যান' খেতাব পেয়ে গেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। অবশ্য শুধু চীনের ওপর শুল্কারোপের কারণেই এ খেতাব পাননি তিনি। কাছাকাছি সময়ে মেক্সিকোর ওপরও শুল্কারোপ করেছেন তিনি। চীনের ক্ষেত্রে বাণিজ্য অসাম্যের কথা বলা হলেও মেক্সিকোর ক্ষেত্রে এসেছে অভিবাসন সংকটের বিষয়টি। অর্থাৎ সংকট সে অর্থনৈতিক হোক, আর রাজনৈতিক হোক, ডোনাল্ড ট্রাম্প 'ট্যারিফের অস্ত্রটি' খেলতেই বেশি স্বচ্ছন্দ। কিন্তু এই প্রবণতাই বিশ্বকে ঠেলে দিচ্ছে এক ভীষণ অনিশ্চয়তার দিকে। মেক্সিকোর ক্ষেত্রে হুমকিটি খুব দ্রুত কাজ করেছে। ঘোষণার পরপরই দেশটির শীর্ষ কর্মকর্তারা ছোটেন ওয়াশিংটনে। এই একই পদক্ষেপ চীনের ক্ষেত্রে ঠিক কাজ করছে না। কাজ করার কথাও নয়। চীন মুখে আলোচনায় আগ্রহ দেখালেও পাল্টা পদক্ষেপই শুধু নেয়নি, আরেকটি লং মার্চের ডাক দিয়ে দিয়েছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প আদতে একজন ব্যবসায়ী। নিজের ব্যবসায়িক জীবনের সমীকরণগুলোই তিনি রাজনীতির ময়দানে প্রয়োগ করছেন। একজন ব্যবসায়ী হিসেবেই ট্রাম্প চীনকে যুক্তরাষ্ট্রের বড় প্রতিপক্ষ বলে বিবেচনা করে আসছেন অনেক আগে থেকেই। ২০১১ সালে সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি চীনকে 'সবচেয়ে বড় শত্রু' হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন। নির্বাচনী প্রচারের সময়ই চীনকে দেখে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তিনি। প্রেসিডেন্ট পদে বসার পর শুরুতে সে পথে না হাঁটলেও পরে ঠিকই 'ট্যারিফ ম্যান' হিসেবে আবির্ভূত হন। এরই মধ্যে ২০ কোটি ডলার মূল্যমানের চীনা পণ্য আমদানিতে ২৫ শতাংশ হারে শুল্কারোপ করেছেন। আরও ৩০ হাজার কোটি ডলার মূল্যমানের পণ্যে একই হারে শুল্কারোপের হুমকি দিয়ে রেখেছেন। এই হুমকিটি সত্যে পরিণত হলে তা এমনকি চীনা প্রযুক্তি কোম্পানি হুয়াওয়েকে নিষিদ্ধ করার ঘটনাকেও ছাড়িয়ে যাবে। ডোনাল্ড ট্রাম্প এই সব পদক্ষেপই নিচ্ছেন একজন ব্যবসায়ীর মতো করে, যেখানে প্রতিপক্ষকে হুমকি দেওয়া, কোনো ছাড় না দেওয়া এবং পিছু না হটে শুধু জেতার জন্য লড়ে যাওয়াটাই দস্তুর। কিন্তু ট্রাম্প ভুলে যাচ্ছেন যে, এই খেলাটা খেলছেন তিনি বৈশ্বিক রাজনীতির ময়দানে। যেখানে জয়ও অনেক সময় পরাজয়ের কারণ হয়। ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তাঁর প্রশাসন এমনকি চীনের ইতিহাসের দিকেও তাকাচ্ছে না, যেখানে নিজেদের চেয়ে শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে লড়ে যাওয়ার বহু নিদর্শন রয়েছে চীনের। মাইক পম্পেওর যেমন বলছেন, 'ইন্টারনেট হয় পশ্চিমা মূল্যবোধ নয়তো কমিউনিস্ট মূল্যবোধ দ্বারা পরিচালিত হবে।' অর্থাৎ তিনি এ দুইয়ের কোনো সমন্বয়ের ক্ষেত্র রাখতে চান না। এই বক্তব্যেরই প্রতিধ্বনি পাওয়া যায় আবার চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের 'নয়া লং মার্চের' ডাকের মধ্যে। চীনের অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথে সৃষ্ট সব বাধা মোকাবিলার লক্ষ্যে তিনি এ লং মার্চের ডাক দিয়েছেন, যা চীনাদের কাছে অনেক অর্থবহ। এ ডাক তাদের সামনে হাজির করছে ১৯৩৪ সালে শুরু হওয়া লং মার্চকে, যেখানে তারা বিজয় দেখেছিল। এ ক্ষেত্রেও বিজয়কেই একমাত্র সত্য মানছে তারা। এটা সত্য যে, অর্থনৈতিক চাপে চীন ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের হিসাব এ ক্ষেত্রে ঠিকই আছে। শুল্ক-যুদ্ধের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে চীনের অর্থনীতিই বেশি চাপে পড়বে। বিষয়টির প্রভাব মূলত খোলাচোখে বাজার ও পণ্য আমদানি-রপ্তানি দিয়েই হাজির করা হচ্ছে। কিন্তু এর মূল প্রভাবটি তো পড়বে দুই দেশেরই শ্রমজীবীদের ওপর। রাষ্ট্রের হিসাবে যে অর্থনৈতিক চাপের সমীকরণ আসছে, তার চেয়ে সাধারণ মানুষের ওপর সৃষ্ট এর প্রভাব হাজারগুণ বেশি। আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকেরা এই পরিস্থিতির ফল হিসেবে 'আরেকটি অর্থনৈতিক মন্দার' কথা বলছেন। এটি হয়তো রাতারাতি দৃষ্টিগ্রাহ্য হবে না। কিন্তু এই বাণিজ্য যুদ্ধ চলতে থাকলে যে, তা দৃষ্টিসীমায় দ্রুতই চলে আসবে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। এই দ্বৈরথে উলুখাগড়ার মতো বহু দেশ জড়িয়ে যাবে বা যাচ্ছে সন্দেহ নেই। বিশ্বের ১২০টি দেশের শীর্ষ আমদানি উৎস হচ্ছে চীন। দেশটির 'ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড' উদ্যোগের সঙ্গে বহু দেশ যুক্ত হয়েছে। ফলে এই দ্বৈরথ দীর্ঘ সময় চলতে থাকলে, তা বিশ্বকে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে একটি পক্ষকে বেছে নেওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি করবে দেশগুলোর সামনে। এ ক্ষেত্রে এক বড় সংকটের সৃষ্টি হবে। কারণ বাণিজ্য শক্তির জায়গা থেকে চীন ব্যাপক প্রভাবশালী হলেও রাজনীতি-অর্থনীতি দুই বিবেচনাতেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবের সঙ্গে তা তুলনীয় নয়। ফলে দীর্ঘ সংকটাবস্থার সৃষ্টি হবে। এ কারণে বাণিজ্যযুদ্ধকে শুধু প্রযুক্তি কোম্পানি বা সয়াবিনের লড়াই হিসেবে দেখার সুযোগ নেই। যুক্তরাষ্ট্র অবশ্য এটিকে শুধু বাণিজ্যযুদ্ধ হিসেবে দেখছেও না। দেখলে, যুক্তরাষ্ট্রে চীনা শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষায় বাধা তৈরি করত না তারা। সব বিচারেই এটি বাজার অর্থনীতির বিশ্বকাঠামোয় আধিপত্য বিস্তার ও আধিপত্য ধরে রাখার লড়াই। ফলে চলতি মাসে জাপানে অনুষ্ঠেয় জি-২০ সম্মেলনে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের আলোচনায় তড়িৎ কোনো সমাধান আসার সম্ভাবনা কম বলেই মনে করছেন অনেক বিশ্লেষক। আর তেমনটি হলে এর ক্ষতি বহন করতে হবে গোটা বিশ্বকেই। মার্কিন বিনিয়োগ ব্যাংক মরগান স্ট্যানলিকে উদ্ধৃত করে মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্কার বলছে, 'যদি কোনো সমঝোতা না হয় এবং আরও ৩০ হাজার কোটি ডলার মূল্যমানের চীনা পণ্যে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ হয়, তাহলে বৈশ্বিক অর্থনীতি আরেকটি মন্দার মুখে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।' বিরোধটি মিটবে কি মিটবে না, তার অনেকটাই নির্ভর করছে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর। যুক্তরাষ্ট্রের চাহিদাকে এ ক্ষেত্রে অত্যধিক মনে করছে চীন। সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের এক প্রতিবেদনে যেমন বলা হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে বাণিজ্য অসাম্য রোধ করাটা অসম্ভব এক ব্যাপার। কারণ, এটি বৈশ্বিক উৎপাদনের ৩০ শতাংশ ভোগ করলেও যুক্তরাষ্ট্র উৎপাদন করে মাত্র ১৩ শতাংশ। ফলে উভয় পক্ষই মুখে স্বীকার না করলেও জানে যে, তাদের এ দ্বৈরথ বাণিজ্যকেন্দ্রিক শুধু নয়। যুক্তরাষ্ট্র চায় চীন তার শিল্প খাতে দেওয়া ভর্তুকি ও বিদেশি কোম্পানির স্বার্থ রক্ষায় নতুন নীতি গ্রহণ করুক, যা বাণিজ্য বলয় বৃদ্ধির নীতি নেওয়া সি চিন পিং প্রশাসনের জন্য রীতিমতো সাংঘর্ষিক। যুক্তরাষ্ট্র মূলত বিশ্বমোড়ল হিসেবে চীনের কাছ থেকে পূর্ণ আনুগত্য চাইছে। এ ক্ষেত্রে বাণিজ্য একটি অস্ত্র, যা ওয়াশিংটন এর আগে সফলভাবে বহু দেশের বিরুদ্ধে ব্যবহার করেছে। হালে ইরানকে বশে আনতেও একই অস্ত্র ব্যবহার করছে। কিন্তু ইরানের মতোই এ দ্বৈরথ আর বাণিজ্যযুদ্ধে সীমাবদ্ধ থাকছে না বলেই মনে হয়। বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান ব্রিজওয়াটার অ্যাসোসিয়েটসের প্রধান নির্বাহী রে ডালিওর মতো অনেকেই বর্তমান অবস্থাকে বেশ আশঙ্কাজনক হিসেবে বিবেচনা করছেন। মার্কিন এ প্রতিষ্ঠানের দৃষ্টিতে, 'পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে, যুদ্ধটি বাণিজ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এটি প্রতিটি ফ্রন্টের জন্য উন্মুক্ত।' এই বক্তব্যের প্রমাণ অবশ্য রয়েছে। কারণ গত কয়েক বছর ধরেই দক্ষিণ চীন সাগরে যুক্তরাষ্ট্র কিংবা যুক্তরাষ্ট্রের আঞ্চলিক মিত্র দেশগুলোর সঙ্গে চীনের উত্তেজনাতেই এর স্বাক্ষর রয়েছে। দক্ষিণ চীন সাগর এই মুহূর্তে সর্বোচ্চ মনোযোগ দাবি করে। কারণ, কোনো সামরিক সংঘর্ষের আশঙ্কা তৈরি হলে, তা এ জায়গাটি থেকেই হবে। চীনকে চটানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্রের হাতে রয়েছে আরও দুটি বড় অস্ত্র-তাইওয়ান ও তিব্বত। এই তিনটির যেকোনোটিতে উসকানি এবং তাতে চীনের সাড়া দেওয়া এক ভয়াবহ সংকটের মুখে ফেলতে পারে বিশ্বকে। চীন ও যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্যযুদ্ধের নামে যে দ্বৈরথে জড়িয়েছে, তার ফল কী হবে তা এখনো নিশ্চিত নয়। গ্রিক ঐতিহাসিক থুসিডিডিসের একটি তত্ত্ব এ ক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিক হতে পারে। থুসিডিডিস বলেছিলেন, উদীয়মান শক্তির সঙ্গে ক্ষমতাসীনের দ্বন্দ্ব অবশ্যম্ভাবী এবং এই দ্বন্দ্ব রক্তপাতে শেষ হতে বাধ্য। চীন ও যুক্তরাষ্ট্র শেষ পর্যন্ত এই দ্বন্দ্বকে কোথায় নিয়ে যাবে, তা এখনই বলা যাচ্ছে না। তবে তা দীর্ঘায়িত হোক, তা কোনোভাবেই কাঙ্ক্ষিত নয়। কারণ, এই দ্বন্দ্ব দ্রুত নিষ্পত্তি না হলে গোটা বিশ্বকেই এর মূল্য চোকাতে হবে। ফজলুল কবির: সাংবাদিকই-মেইল: []
আন্তর্জাতিক
চীন ও যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্যযুদ্ধের নামে যে দ্বৈরথে জড়িয়েছে, তার ফল কী হবে তা এখনো নিশ্চিত নয়। প্রতীকী ছবি: রয়টার্স।
opinion
https://www.ajkerpatrika.com/82048/%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%B0%E0%A6%97%E0%A6%9E%E0%A7%8D%E0%A6%9C%E0%A7%87-%E0%A6%87%E0%A6%89%E0%A6%AA%E0%A6%BF-%E0%A6%B8%E0%A6%A6%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A7%81%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A7%87-%E0%A6%93%E0%A6%8F%E0%A6%AE%E0%A6%8F%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%B2
বাকেরগঞ্জে ইউপি সদস্যদের বিরুদ্ধে ওএমএসের চাল আত্মসাতের অভিযোগ
বরিশালের বাকেরগঞ্জে ১০ টাকার চাল (ওএমএস) নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ উঠছে উপজেলার রঙ্গশ্রী ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোস্তফা খানের বিরুদ্ধে। এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে সম্প্রতি ওই এলাকার নুর শরিফ হাওলাদার নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।অভিযোগে জানা যায়, গত ২ মাস আগে স্থানীয় নুর শরিফ হাওলাদারসহ প্রায় শতাধিক ওএমএস কার্ডধারীর কার্ড জমা নেন সদ্য নির্বাচিত রঙ্গশ্রী ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মোস্তফা খান। পরে তাঁদের চাল না দিয়ে টালবাহানা শুরু করেন মোস্তফা। গত অক্টোবরে অন্যান্য কার্ডধারীরা চাল পেলেও বঞ্চিত হন ইউপি সদস্যর কাছে কার্ড জমা রাখা ব্যক্তিরা। ইউপি সদস্য মোস্তফা তাঁদের চাল আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ করেন বঞ্চিতরা।অভিযোগকারী নুর শরীফ হাওলাদার বলেন, আমি ১৯৬৬ সাল থেকে আওয়ামী লীগ করি। বয়সের কারণে শারীরিক পরিশ্রমের কাজ করতে পারি না। ওই চালের ওপর আমার পরিবার নির্ভরশীল। ২ মাস আগে আমিসহ প্রায় শতাধিক লোকের কার্ড (ওএমএস) জমা নিয়েছেন ইউপি সদস্য মোস্তফা খান। পরে আমাদের চাল না দিয়ে ইউপি সদস্য আত্মসাৎ করেছেন। উপায় না পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।অভিযুক্ত ইউপি সদস্য মোস্তফা খান ওএমএসের কার্ড জমা রাখার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, কার্ড জমা রাখার এখতিয়ার আমার নেই। আমি যাদের কার্ড নিয়েছি পরে আবার ফেরত দিয়েছি। তবে এর বেশি কিছু জানতে হলে চালের ডিলারের সঙ্গে যোগাযোগের পরামর্শ দেন এ ইউপি সদস্য।
বরিশাল বিভাগ,অনিয়ম,বাকেরগঞ্জ
ওএমএস এর চাল।
national
https://www.bd-pratidin.com/country/2021/07/15/670712
ভরা মৌসুমে মেঘনায় মিলছে না ইলিশ
লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার মেঘনা নদীতে মিলছে না কাঙ্ক্ষিত রূপালি ইলিশ। গত ১ মে থেকে জাল, নৌকা, ট্রলার ও বিভিন্ন মাছ ধরার সরঞ্জামাদি নিয়ে এ উপজেলার প্রায় সাড়ে ৭ হাজার জেলে ইলিশ ধরতে মেঘনা নদীতে নামেন। নদীতে জাল ফেলেও জেলেদের জালে মিলছে না রূপালি ইলিশ। ইলিশের ভরা মৌসুম শুরু হলেও রায়পুরের মেঘনায় চলছে ইলিশের চরম আকাল। এতে বিপাকে পড়েছেন জেলে সম্প্রদায়। অনেকে বলছেন, এবার ব্যাপকহারে জাটকা নিধন হওয়ায় জেলেদের জালে ইলিশ ধরা পড়ছে না। যৎসামান্য ইলিশ ধরা পড়লেও দাম অনেক হওয়ায় সাধারণ ক্রেতা কিনতে পারছে না ইলিশ। উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, চাঁদপুরের ষাটনল থেকে লক্ষ্মীপুরের আলেকজান্ডার পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার নদী এলাকাকে ইলিশের অভয়াশ্রম ঘোষণা করা হয়েছে। ওই এলাকায় ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত সব ধরনের জাল ও মাছ ধরা নিষিদ্ধ করেছিল সরকার। কাঙ্ক্ষিত ইলিশের আশায় কোমড় বেঁধে নদীতে নামে জেলেরা। মেঘনা নদীর জালিয়ার চর, চরবংশী ও চরলক্ষ্মী এলাকার জেলে আইনুদ্দিন, সেলিম বকাউল ও ছিডু মাঝি বলেন, নদীতে লাখ লাখ টাকার জাল, নৌকা নিয়ে মাছ ধরতে নেমেছি। প্রতিদিন আমাদের সাড়ে ৬ থেকে ৭ হাজার টাকার বেশি খরচ হয়। কিন্তু দিন-রাত নদীতে জাল ফেলে মাত্র আড়াই থেকে ৩ হাজার টাকার মাছ পাই। এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে জাল, নৌকা তৈরি করেছি। ভেবেছিলাম ইলিশ শিকার করে দায়-দেনা পরিশোধ করব। উল্টো নতুন করে বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋণ নিতে হচ্ছে। এ নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় রয়েছি। নদীতে ইলিশ ধরা না পড়লে ছেলে-মেয়ে নিয়ে চরম মানবেতর জীবন-যাপন করতে হবে। অন্যদিকে দায়-দেনা পরিশোধ করতে না পারায় বাড়ছে দুশ্চিন্তা। উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মো. বেলায়েত হোসেন বলেন, এ বছর বৃষ্টিপাত শুরু না হওয়ায় নদীতে তেমন ইলিশ ধরা পড়ছে না। এ মাসের শেষের দিকে নদীতে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়বে বলে আশা করছি। বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ
ভরা, মৌসুমে, মেঘনায়, মিলছে, না, ইলিশ
লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার মেঘনা নদীতে মিলছে না কাঙ্ক্ষিত রূপালি ইলিশ
national
https://www.ajkerpatrika.com/9684/%E0%A6%86%E0%A6%AB%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%A8-%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%BF%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%A8-%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%81%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%AA%E0%A7%82%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A3-%E0%A6%B8%E0%A7%80%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4-%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%82-%E0%A6%A6%E0%A6%96%E0%A6%B2%E0%A7%87
আফগান-পাকিস্তান গুরুত্বপূর্ণ সীমান্ত ক্রসিং দখলে নিল তালেবান
মার্কিন সেনারা আফগানিস্তান ছাড়ার পর একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ সীমান্ত ক্রসিং দখলে নিচ্ছে আফগানিস্তানের সশস্ত্র গোষ্ঠী তালেবান। আজ বুধবার পাকিস্তানের সঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ সীমান্ত ক্রসিং দখলে নেওয়ার দাবি করেছে গোষ্ঠীটি। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে তথ্যটি জানানো হয়েছে।পাকিস্তানের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কান্দাহার প্রদেশে অবস্থিত পাকিস্তানের শহর চমন ও আফগানিস্তানের শহর ওয়েশের মধ্যবর্তী একটি সীমান্ত ক্রসিংয়ে আফগান সরকারের পতাকা নামিয়ে ফেলে তালেবানের যোদ্ধারা।রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আফগানিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলের প্রধান শহর কান্দাহারের গুরুত্বপূর্ণ এই সীমান্ত ক্রসিংয়ের মাধ্যমে আফগানিস্তান, ইরান ও মধ্য এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে সংযোগ রয়েছে পাকিস্তানের। প্রতিদিন এই ক্রসিং দিয়ে প্রায় ৯০০ ট্রাক পারাপার হয়ে থাকে।আফগানিস্তানের সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সরকারি বাহিনীর সামনে টিকতে না পেরে কান্দাহার প্রদেশের জেলা শহর স্পিন বোলদাক থেকে পিছু হটেছে তালেবান। তবে বেসামরিক নাগরিক ও পাকিস্তানের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ওয়েশ সীমান্তের নিয়ন্ত্রণ এখন তালেবানের হাতেই।সীমান্ত এলাকায় নিযুক্ত পাকিস্তানের এক নিরাপত্তাকর্মী বলেছেন, 'পাকিস্তান এবং অন্যান্য দেশের সঙ্গে বাণিজ্যের গুরুত্বপূর্ণ বড় সীমান্ত ক্রসিং ওয়েশ। এটি এখন তালেবানের নিয়ন্ত্রণে।'তালেবানের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ এক বিবৃতিতে বলেছেন, 'কান্দাহার প্রদেশের ওয়েশ সীমান্ত শহর দখলে নিয়েছে তালেবান।'কাবুলভিত্তিক সংস্থা আফগানিস্তান চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট'র চেয়ারম্যান শফিকুল্লাহ আত্তারি জানিয়েছেন, তালেবান যোদ্ধারা বিভিন্ন দেশের সঙ্গে থাকা আফগানিস্তানের সীমান্ত ক্রসিং ও চেক পোস্টগুলো দখলে নিচ্ছে। ফলে সীমান্ত ক্রসিং ও চেক পোস্টগুলো থেকে তাঁরা বড় অঙ্কের রাজস্ব আয় করতে পারবে।বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে শফিকুল্লাহ আত্তারি বলেন, 'সীমান্ত ক্রসিং ও চেক পোস্টগুলোর রাজস্ব এরই মধ্যে তালেবানের পকেটে ঢুকতে শুরু করেছে।'
এশিয়া,আফগানিস্তান,তালেবান,সীমান্ত
আফগান-পাকিস্তান গুরুত্বপূর্ণ সীমান্ত ক্রসিং তালেবানের নিয়ন্ত্রণে।
international
https://samakal.com/bangladesh/article/1908243/অবস্থা-স্থিতিশীল
রাবেয়া-রুকাইয়ার অবস্থা স্থিতিশীল
টানা ৩৩ ঘণ্টার অস্ত্রোপচারের পর জোড়া মাথার যমজ দুই বোন রাবেয়া ও রুকাইয়ার অবস্থা স্থিতিশীল। তারা সুস্থ ও ভালো আছে। শনিবার তাদের ব্যাপারে খোঁজ নিলে সংশ্নিষ্ট সূত্র থেকে এ তথ্য জানানো হয়। এদিকে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এ ধরনের অস্ত্রোপচার অত্যন্ত জটিল এবং সাফল্যের হার খুব বেশি নয়। অস্ত্রোপচারের পর রাবেয়া এবং রুকাইয়ার অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। তবে এ ধরনের অস্ত্রোপচারের পরও সব সময় ঝুঁকি এবং বেশ জটিলতা থাকে। দেশবাসীর কাছে দুই বোনের দ্রুত সুস্থতার জন্য দোয়া প্রার্থনা করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় দুই বোনের অস্ত্রোপচারের সবচেয়ে জটিল অংশটি 'যমজ মস্তিস্ক' আলাদা করার কাজটি ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে সম্পন্ন হয়। হাঙ্গেরির বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে সিএমএইচের নিউরো অ্যানেসথেশিওলজিস্টদের তত্ত্বাবধানে নিউরো ও প্লাস্টিক সার্জনরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ, শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউট, হার্ট ফাউন্ডেশন, নিউরো সায়েন্স ইনস্টিটিউট, সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল ও শিশু হাসপাতালের শতাধিক সার্জন ও অ্যানেসথেশিওলজিস্ট এই জটিল অস্ত্রোপচারে অংশগ্রহণ করেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় পাবনার চাটমোহরের রফিকুল ইসলাম ও তাসলিমা বেগম দম্পতির এই দুই শিশুসন্তান ২০১৭ সাল থেকেই সামগ্রিক সহায়তা পেয়ে আসছিল। হাঙ্গেরি সরকারের মাধ্যমে 'অ্যাকশন ফর ডিফেন্সলেস পিপল' নামক সংগঠনও সক্রিয় সহায়তা প্রদান করেছে। শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের সমন্বয়ক অধ্যাপক সামন্ত লাল সেন বিষয়টির সমন্বয়কারীর দায়িত্ব পালন করেন। এর আগে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রাণবন্ত দুই বোনের দুই স্তরে 'এন্ডোভাস্কুলার সার্জারি' এবং হাঙ্গেরিতে ৪৮টি ছোট-বড় অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়। আইএসপিআরের বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এ ধরনের অস্ত্রোপচার বিশ্বে বিরল ঘটনা। উপমহাদেশে এরকম অস্ত্রোপচার এটিই প্রথম। এই অস্ত্রোপচার সিএমএইচে সম্পন্ন হওয়ায় বাংলাদেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার সক্ষমতা আরও বৃদ্ধি পেল। এ ধরনের চিকিৎসা সহায়তা প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও হাঙ্গেরির জনগণের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও জোরদার হবে।
রাবেয়া-রুকাইয়া,অস্ত্রোপচার,যমজ
অস্ত্রোপচারের আগে রাবেয়া-রুকাইয়াএএফপি আর্কাইভ
national
https://www.dailynayadiganta.com/usa-canada/584498/যুক্তরাষ্ট্রে-বন্দুকধারীর-গুলিতে-৮-জন-নিহত
যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুকধারীর গুলিতে ৮ জন নিহত
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার একটি কমিউটার ট্রেন ইয়ার্ডে এক বন্দুকধারীর গুলিতে আটজন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির পুলিশ। এ ঘটনায় আহতও হয়েছেন বেশ ক'জন। বুধবার স্থানীয় সময় সকাল পৌনে ৭টার দিকে সান জোসের সান্তা ক্লারা ভ্যালি ট্রান্সপোর্টেশন অথরিটির (ভিটিএ) রেল ইয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। পরিবহন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নিহতরা পরিবহনকর্মী ছিলেন। এছাড়া হামলাকারীও একজন পরিবহনকর্মী। তিনিও আত্মঘাতী হয়েছেন। স্থানীয় সিবিএস (সম্প্রচার) স্টেশনের তথ্যমতে, বুধবার ভোরে একজন বন্দুকধারী ভিটিএ হালকা রেল ইয়ার্ডে গুলি চালায়। তখন সেখানে রেল কর্মচারীদের একটি মিটিং হচ্ছিল। বন্দুকধারীর হামলার আগে সান্তা ক্লারা ভ্যালি ট্রান্সপোর্টেশন অথরিটির (ভিটিএ) কর্মচারীর মালিকানাধীন একটি বাড়িতে আগুন লাগে। কর্মকর্তারা বলছেন, গুলি চলমান অবস্থায়ই পুলিশ সেখানে পৌঁছায়। ওই ঘটনায় বন্দুকধারীসহ ৯ জন নিহত হন। স্থানীয় মিডিয়া বলছে, বন্দুকধারী আত্মহত্যা করেছেন। তবে পুলিশ এ বিষয়টি এখনো নিশ্চিত করেনি। সান জোস শেরিফসের ডেপুটি রাসেল ড্যাভিস জানিয়েছেন, ঘটনার তদন্ত চলছে। গান ভায়োলেন্স আর্কাইভের তথ্যমতে, এ বছর আমেরিকাজুড়ে ২৩০টি গণ বন্দুকহামলা হয়েছে। গণ বন্দুকহামলা বলতে, যে গুলিতে চার বা তার অধিক মানুষ মারাত্মকভাবে গুলিবিদ্ধ হন। সূত্র : বিবিসি, আলজাজিরা
null
ঘটনাস্থলে পুলিশ অবস্থান নিয়েছে।
international
https://www.ajkerpatrika.com/106084/%E0%A6%B6%E0%A6%B9%E0%A7%80%E0%A6%A6%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A7%9F%E0%A6%BE-%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%B6%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%B6%E0%A6%AB%E0%A7%80-%E0%A6%86%E0%A6%B0-%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%87
শহীদজায়া মুশতারী শফী আর নেই
শহীদজায়া বেগম মুশতারী শফী (৮৩) আর নেই। ঢাকায় সম্মিলিত সামরিক (সিএমএইচ) হাসপাতালে গতকাল সোমবার বিকেলে তিনি ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।উদীচী চট্টগ্রামের সহ-সম্পাদক জয় সেন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বেগম মুশতারী শফী দীর্ঘদিন অসুস্থ ছিলেন। কিডনি, রক্তে সংক্রমণসহ নানা জটিলতার কারণে ২ ডিসেম্বর তাঁকে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় এনে সিএমএইচের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি করা হয়। চিকিৎসা নিয়ে সুস্থও হয়ে ওঠেন তিনি। হাসপাতাল ছেড়ে রাজধানীতে মেয়ের বাসায় ফিরেছিলেন। কিন্তু ১৪ ডিসেম্বর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে আবার তাঁকে সিএমএইচে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল বিকেল ৪টার দিকে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।বেগম রোকেয়া পদকপ্রাপ্ত মুশতারী শফীর অনেকগুলো পরিচয়-একাত্তরের স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শব্দসৈনিক, বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহীদজায়া, নারীনেত্রী ও সাহিত্যিক। আন্দোলন-সংগ্রামে সোচ্চার ভূমিকার জন্য প্রগতিশীল চেতনার বাতিঘর হিসেবেও পরিচিত পেয়েছিলেন তিনি। চট্টগ্রামের মানুষ তাঁকে ভালোবেসে ডাকতেন 'আমাদের আলোকবর্তিকা'। আমৃত্যু ছিলেন উদীচী চট্টগ্রামের সভাপতি। ১৯৭১ সালের ৭ এপ্রিল তাঁর স্বামী চিকিৎসক মোহাম্মদ শফী ও ছোট ভাই এহসানুল হক আনসারীকে নির্মমভাবে হত্যা করে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী। মুক্তিযুদ্ধের পুরোটা সময় মুশতারী শফী স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে শব্দসৈনিক হিসেবে কাজ করেছেন। মুক্তিযুদ্ধে অনন্য ভূমিকার জন্য ২০১৬ সালে মুশতারী শফীকে ফেলোশিপ দেয় বাংলা একাডেমি। ২০২০ সালে পান বেগম রোকেয়া পদক।মুশতারী শফীর জন্ম ১৯৩৮ সালের ১৫ জানুয়ারি। তাঁর পৈতৃক নিবাস ফরিদপুর জেলায়। ষাটের দশকে তিনি চট্টগ্রামে 'বান্ধবী সংঘ' নামে নারীদের একটি সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন। এ সংগঠন থেকে তিনি 'বান্ধবী' নামে একটি পত্রিকা প্রকাশ করেন এবং 'মেয়েদের প্রেস' নামে ছাপাখানা চালু করেন। নব্বইয়ের দশকে শহীদ জননী জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে একাত্তরের ঘাতক দালালের বিচারের আন্দোলনে মুশতারী শফী সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন। মুশতারী শফী কলমও চালিয়ে গেছেন সমানতালে। স্বাধীন বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধকালীন স্মৃতিসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তিনি একাধিক গ্রন্থ লিখেছেন।
মৃত্যু,হাসপাতাল,ছাপা সংস্করণ,শেষ পাতা
বেগম মুশতারী শফী
national
https://www.dailynayadiganta.com/politics/386596/বাংলাদেশটাও-ভেনেজুয়েলা-হয়ে-যেতে-পারে-
'বাংলাদেশটাও ভেনেজুয়েলা হয়ে যেতে পারে'
'লাতিন আমেরিকার দেশ ভেনেজুয়েলায় যেভাবে নির্বাচিত সরকারকে উৎখাতের ষড়যন্ত্র হচ্ছে, তা বাংলাদেশেও হতে পারে'।ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এ কথা বলেছেন। বাংলাদেশের নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য বিশ্বের সাম্রাজ্যবাদী শক্তি নানা ষড়যন্ত্র করছে বলেও অভিযোগ করেন ১৪ দলের শরিক সাবেক এই মন্ত্রী। বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সেমিনার কক্ষে বাংলাদেশ শান্তি পরিষদ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি এ আশঙ্কার কথা বলেন। ভেনেজুয়েলার নির্বাচিত মাদুরো সরকারকে উৎখাত করার জন্য মার্কিন সরকারের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে এ আলোচনা সভায় রাশেদ খান মেনন বলেন, জনগণের সমর্থন না থাকলে সংসদের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা সরকারের বর্ম হতে পারে না। এ সময় সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, 'বিএনপি অভিযোগ করেছে, রাতে আঁধারে ব্যালট বাক্স ভরে ফেলা হয়েছে। আপনারা তো পাহারা দিতে চেয়েছিলেন। আপনাদের পাহারাটা কোথায় ছিল। আপনাদের একজন পাহারাদারও কেন আশপাশে ছিল না।' 'এত কিছু বলছেন, একটি প্রমাণও তো দিতে পারছেন না। এই যে অজুহাত তারা তৈরি করছেন, আমাদের মনে রাখতে হবে, এই বাংলাদেশটাও ভেনেজুয়েলা হয়ে যেতে পারে,' যোগ করেন মেনন। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন শান্তি পরিষদের সভাপতি মোজাফ্ফর হোসেন পল্টু। পরে মার্কিন আগ্রাসনের বিরুদ্ধে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়।
null
রাশেদ খান মেনন
politics
https://samakal.com/whole-country/article/211183411/বিভিন্ন-স্থানে-হামলাসংঘর্ষ-চলছেই
বিভিন্ন স্থানে হামলা-সংঘর্ষ চলছেই
ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সহিংসতা চলছেই। দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রতিদ্বন্দ্বী চেয়ারম্যান প্রার্থীদের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ, হামলা-ভাঙচুর ও নির্বাচনী কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগের ঘটনা বাড়ছে। প্রতিদ্বন্দ্বী ইউপি সদস্য প্রার্থীদের সমর্থকরাও সংঘাতে জড়াচ্ছেন। সোমবার সন্ধ্যা থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গার জীবননগর, নওগাঁর রাণীনগর, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সংঘর্ষে আহত হয়েছেন অন্তত ২১ জন। বগুড়ার শেরপুরে এক স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর বাড়ি ও নির্বাচনী ক্যাম্পে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হয়েছে। ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে এক চেয়ারম্যান প্রার্থীকে মারধর করা হয়েছে। সমকালের সংশ্নিষ্ট এলাকার প্রতিনিধি ও সংবাদদাতাদের পাঠানো তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়- জীবননগরে সংঘর্ষে আহত ১২: চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নে দুই সদস্য প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে আহত হয়েছেন ১২ জন। সোমবার রাতে মেদেনীপুর গ্রামের তেঁতুলতলায় ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের সদস্য প্রার্থী আব্দুল আলীম ও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ইসরাইল বিশ্বাসের অনুসারীদের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডার জের ধরে এ সংঘর্ষ হয়। আব্দুল আলিম বলেন, সন্ধ্যার পর আমার কর্মীরা ভোট চাওয়ার জন্য তেঁতুলতলায় ছিলেন। এ সময় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ইসরাইল বিশ্বাসের কর্মী-সমর্থকরা লাঠি ও রড দিয়ে হামলা চালায়। তবে ইসরাইল বিশ্বাস বলেন, ঘটনার সময় আমি ওই স্থানে ছিলাম না। খবর পেয়ে ছুটে এলে আব্দুল আলিমের সমর্থকরা আমাকে মারধর করে। হামলায় আমার সাতজন কর্মী আহত হয়েছেন। জীবননগর থানার ওসি আব্দুল খালেক জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয় পক্ষকে শান্ত করে। রাণীনগরে প্রার্থীসহ আহত ৮: নওগাঁর রাণীনগরের পারইল ইউনিয়নে ৯নং ওয়ার্ডের সদস্য প্রার্থী আজাদুল ইসলাম ও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মিজানুর রহমানের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে প্রার্থী আজাদসহ ৮ জন আহত হন। সোমবার রাতে কামতা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আজাদুল ইসলাম বলেন, কর্মী-সমর্থক নিয়ে পুরো ওয়ার্ডে প্রচার মিছিল করে রাত সাড়ে ৯টার দিকে কামতা গ্রামে মসজিদের সামনে পৌঁছালে মিজানুর রহমান ও তার সমর্থকরা আমাদের ওপর হামলা চালায়। এতে আমি ও আমার চার সমর্থক আহত হই। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে মিজানুর রহমান বলেন, আমার কর্মী-সমর্থকরাও মিছিল শেষ করলে আজাদুল ও তার লোকজন আমাদের ওপর হামলা চালিয়ে মারধর করেছে। এতে আমার তিন কর্মী-সমর্থক আহত হয়েছেন। রাণীনগর থানার ওসি শাহিন আকন্দ বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। শেরপুরে চেয়ারম্যান প্রার্থীর বাড়িতে হামলা: বগুড়ার শেরপুরের শাহবন্দেগী ইউপি নির্বাচনে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী কাজী আবুল কালাম আজাদ বসতবাড়ি ও নির্বাচনী কার্যালয়ে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকরা হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় ওই স্বতন্ত্র প্রার্থীকে প্রায় তিন ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখা হয় বলেও অভিযোগ রয়েছে। মঙ্গলবার সকাল সাতটা থেকে ১০টা পর্যন্ত ইউনিয়নের শেরুয়া বটতলা বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আবুল কালাম আজাদ অভিযোগ করে বলেন, 'প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আওয়ামী লীগ মনোনীত আবু তালেব আকন্দের ছেলের নেতৃত্বে তাদের কর্মী-সমর্থকরা আমার নির্বাচনী প্রচরে বাধা দিচ্ছে।' তবে আবু তালেব আকন্দ এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। শেরপুর থানার ওসি শহিদুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কালীগঞ্জে চেয়ারম্যান প্রার্থীকে মারধর: ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার বারবাজার ইউপিতে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী জয়নাল আবেদীনকে মারধর করে মনোনয়নপত্র ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে। তিনি বর্তমানে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেপে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ সময় কামরুল নামে আরও একজনকেও মারধর করা হয়। সোমবার বিকেলে শহরের উপজেলা গেটে এ ঘটনা ঘটে। জয়নাল আবেদীন ৯নং বারবাজার ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান। তিনি আসন্ন ইউপি নির্বাচনে আবারও প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন। এ ঘটনায় থানায় একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে বলে কালীগঞ্জ থানার ওসি মাহফুজুর রহমান মিয়া জানান। রূপগঞ্জে স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনী ক্যাম্পে হামলা: নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার ভোলাব ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী আলমগীর হোসেন টিটুর নির্বাচনী ক্যাম্পে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট তায়েবুর রহমানের কর্মী-সমর্থকরা হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। টিটুর অভিযোগ, সোমবার রাতে ভোলাব ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের পাইস্কা এলাকায় তার নির্বাচনী ক্যাম্পে হামলা চালিয়ে চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর ও পোস্টার ছিড়ে ফেলা হয়। এ সময় হামলাকারীরা এক সমর্থককে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। তবে তায়েবুর রহমান বলেন, 'নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে ওই স্বতন্ত্র প্রার্থী নিজের একটি পক্ষ দিয়ে এমন কাজ করাচ্ছেন।' রূপগঞ্জ থানার ওসি এএফএম সায়েদ বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। মেহেরপুরে বিদ্রোহী প্রার্থী থাকায় বাড়ছে সংঘাত: মেহেরপুর জেলার ৯টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী থাকায় বাড়ছে সংঘাত-সংঘর্ষ, হামলা-মামলার মতো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। ইতোমধ্যে মুজিবনগর উপজেলার ৪টি ইউনিয়ন ও গাংনী উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি এলাকায় পোস্টার ছেড়া, প্রচারে বাধা, হামলা-ভাঙচুরের পাশাপাশি চেয়ারম্যান প্রার্থীর বিরুদ্ধে মামলার ঘটনা ঘটেছে। তবে চেয়ারম্যান প্রার্থী মিজানুর রহমান রানা, গোলজার হোসেন, ফারুক আহাম্মদ, সোহেল আহাম্মেদ, আমাম হোসেন মিলু, আইয়ুব হোসেনসহ একাধিক প্রার্থী বলেন, এখন পর্যন্ত ভোটের শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতি বজায় রয়েছে। জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আবু আনসার জানান, পরিস্থিতির অবনতি হলেই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল) অপু সারোয়ার বলেন, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে। ধামরাইয়ে আ'লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর ছেলেসহ ৩০ জনের নামে মামলা: নির্বাচনী সহিংসতায় ঢাকার ধামরাইয়ের যাদবপুর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আব্দুল মজিদের কর্মী সিহান হোসেন হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। এতে দলের বিদ্রোহী প্রার্থী মিজানুর রহমান মিজুর ছেলে জাহিদ হাসান দীপুসহ ৩০ জনকে আমামি করা হয়েছে। নিহতের মা নুরুন্নাহার বেগম নুরী বাদী হয়ে সোমবার রাতে এ মামলা করেন। ধামরাই থানার ওসি আতিকুর রহমান বলেন, হত্যায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। ডুমুরিয়ায় আ'লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর হামলা-ভাঙচুর: খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার রুদাঘরা ইউপিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী গাজী তৌহিদুজ্জান তৌহিদ দল থেকে তাকে বহিস্কারের খবর পেয়ে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের গেটে হামলা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার রাতে দেড় শতাধিক লোকজন নিয়ে তিনি ইউনিয়ন পরিষদের মূল গেটের ওপরে টানানো মুজিব জন্মশতবর্ষের প্যানা ছিড়ে পুড়িয়ে দেন। একটি চায়ের দোকানও ভাঙচুর করেন। বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় উপজেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ গাজী তৌহিদুজ্জান তৌহিদকে দল থেকে বহিস্কার করা হয়। এদিকে ডুমুরিয়া উপজেলার সাহস ইউনিয়নের নোয়াকাটি গ্রামে গত ২৭ অক্টোবর রাতে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মোহাম্মাদ মাহাবুবুর রহমানের কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলার ঘটনায় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শেখ আব্দুল কুদ্দুসের ১২ কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যায় মামলাটি রেকর্ড হয় বলে ডুমুরিয়া থানার ওসি মো. ওবাইদুর রহমান জানান। দাগনভূঞায় চেয়ারম্যান প্রার্থীকে হত্যার হুমকি: ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার মাতুভূঞা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও আওয়ামী লীগ নেতা মো. আলমগীরকে সোমবার রাতে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আলমগীর জানান, উপজেলার হীরাপুর গ্রামে সোমবার রাতে ৬-৭টি মোটরসাইকেলে এসে অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তরা আলমগীরের বসতঘর লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। নির্বাচনে প্রার্থী হলে তাকে হত্যা করা হবে হুমকি দেয়। এ ঘটনায় তিনি থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন। বাউফলে সংঘর্ষকালে আহত নারীর অবস্থা আশঙ্কাজনক: পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার নওমালা ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট কামাল হোসেন বিশ্বাস ও বিদ্রোহী প্রার্থী শাহজাদা হাওলাদারের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে আহত পথচারী অনিমা রানী শীলের (৪০) অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে গুরুতর অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। রোববার দুপরে দুই প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের সংঘর্ষের সময় ছোড়া ইটের আঘাতে গৃহবধূ অনিমা আহত হন।
ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন,ইউপি নির্বাচন,সহিংসতা,হামলা,ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে হামলা,ইউপি নির্বাচন নিয়ে সংঘর্ষ,ইউপি নির্বাচন-২০২১
মাদারীপুরের ডাসার ইউপি নির্বাচনে স্বতন্ত্র ও আ. লীগ প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষের পর বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার
national
https://www.bd-pratidin.com/international-news/2021/08/09/678592
সৌদি আগ্রাসন অব্যাহত থাকলে জাতিসংঘ প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠকের অর্থ নেই: হুথি
ইয়েমেনের হুথি আনসারুল্লাহ আন্দোলনের মুখপাত্র মোহাম্মদ আব্দুস সালাম বলেছেন, তার দেশের ওপর সৌদি আরবের অবরোধ থাকায় ইয়েমেন বিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ দূতের সঙ্গে বৈঠকের কোনও কারণ নেই। রবিবার এক টুইটার বার্তায় তিনি আনসারুল্লাহ আন্দোলনের এ অবস্থান ঘোষণা করেছেন। তিনি বলেন, আনসারুল্লাহ আন্দোলন যে মৌলিক শর্ত দিয়েছে যতক্ষণ এগুলো বিবেচনায় না নেওয়া হবে ততক্ষণ পর্যন্ত জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠক কোনও ফল বয়ে আনবে না। ভবিষ্যৎ যেকোনও শান্তি আলোচনা সফল হওয়ার জন্য তার দেশের ওপর থেকে সৌদি নেতৃত্বাধীন অবরোধ প্রত্যাহারকে পূর্বশর্ত বলেও তিনি মন্তব্য করেন। হুথি আনসারুল্লাহ আন্দোলনের মুখপাত্রের পাশাপাশি আব্দুস সালাম সংগঠনের প্রধান আলোচক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। এদিকে, কয়েকটি গণমাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাতে আব্দুস সালাম বলেছেন, ইয়েমেন বিষয়ক সুইডেনের কূটনীতিক হ্যান্স গ্রুন্ডবার্গের হাতে যেহেতু কোনও ক্ষমতা নেই সে কারণে তার সঙ্গে বৈঠক করা অর্থহীন। ইয়েমেন বিষয়ক আগের বিশেষ দূত গতমাসে সৌদি আরব সফর করলেও তাতে বিশেষ কোনও অগ্রগতি আসেনি। গণমাধ্যমের কাছে এ বিষয়টিও আব্দুস সালাম তুলে ধরেন। বিডি প্রতিদিন/কালাম
সৌদি, আগ্রাসন, জাতিসংঘ, প্রতিনিধি, বৈঠক, হুথি
মোহাম্মদ আব্দুস সালাম
international
https://www.bhorerkagoj.com/2021/02/27/%e0%a6%ae%e0%a7%81%e0%a6%9c%e0%a6%bf%e0%a6%ac-%e0%a6%b6%e0%a6%a4%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%b7%e0%a6%bf%e0%a6%95%e0%a7%80%e0%a6%a4%e0%a7%87-%e0%a6%9d%e0%a6%82%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%b0/
মুজিব শতবার্ষিকীতে ঝংকার তুলবেন দেবজ্যোতি
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে সুরে, ছন্দে সেজে উঠবে রাজধানী। অনুষ্ঠানে মেমোরিয়াল অর্কেস্ট্রাল স্কোর নিয়ে হাজির হচ্ছেন ভারতের বিখ্যাত সুরকার ও সঙ্গীতকার দেবজ্যোতি মিশ্র। এ দিন 'বঙ্গবন্ধু'র পছন্দের গানগুলিকে এক সুতোয় বাঁধা হবে। চলবে ১৫ মিনিট পর্যন্ত। পরে আরেকটি ১২ মিনিটের স্কোর বাজানো হবে, যাতে রয়েছে বিশেষ আকর্ষণ। এসময় মুক্তিযুদ্ধের সময়ে বঙ্গবন্ধু'র বিখ্যাত ভাষণের ছোট ছোট অংশ বাজানো হবে। বড় পর্দা টাঙানো হবে, যেখানে আলো আঁধারি ছায়া দিয়ে ফুটে উঠবে ভাষা। এ বিষয়ে দেবজ্যোতি বললেন, শেখ মুজিবর রহমান, এই নামটির সঙ্গে সেই ছোটবেলা থেকে পরিচয়। মুক্তি যুদ্ধের খবর আসত রেডিওতে। দেবদুলাল বন্দ্যোপাধ্যায় খবর পড়তেন। বাড়িতে মা, বাবা, ঠাকুমা সবাই রেডিওর সামনে থমকে যেতেন যেন! সে সব আবছা দিনগুলোর কথাই মনে পড়ে যাচ্ছে। 'বঙ্গবন্ধু'র উদ্দেশে সুর তৈরি করতে করতে ওই স্মৃতিগুলি চোখের সামনে ভাসেছে। তিনি জানান, যিনি বাংলাদেশের রূপকার, তাঁর জন্ম শতবার্ষিকী অনুষ্ঠানে ভারত-বাংলাদেশের সঙ্গীতশিল্পী বন্ধুদের নিয়ে অনুষ্ঠান করব, এটা ভেবেই গর্ব হচ্ছে, রোমাঞ্চ হচ্ছে আমার! আমার মায়ের কৈশোরকে আমার তরফ থেকে একটা শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাব সে দেশে গিয়ে। কলকাতা থেকে স্ট্রিং সেকশনের (তারের বাদ্যযন্ত্র, যেমন বেহালা, চেলো, ভিওলা, কন্ট্রাভাস ইত্যাদি) শিল্পীরা বাংলাদেশে যাচ্ছেন। ও-পার বাংলাতেও দেবজ্যোতি মিশ্রর বন্ধুরা রয়েছেন, যাঁরা অর্কেস্ট্রায় অংশগ্রহণ করবেন। ৫০ জনের বড় একটি কয়্যারও থাকছে। সব মিলিয়ে ১৫০ জন সঙ্গীতশিল্পীরা এক সঙ্গে গানে মাতবেন সে দিন। সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য অনলাইনে গোটা অর্কেস্ট্রাটি রেকর্ড করা হবে।
null
দেবজ্যোতি মিশ্র।
entertainment
https://www.prothomalo.com/business/বড়-হচ্ছে-ভারী-যন্ত্রের-ব্যবসা
বড় হচ্ছে ভারী যন্ত্রের ব্যবসা
একসঙ্গে চলছে বেশ কয়েকটি সরকারি বড় প্রকল্পের নির্মাণকাজ। এসব প্রকল্পের পাশাপাশি বেসরকারি খাতেও নানা প্রকল্পের কাজ চলছে। দেশে গত এক দশকে বড় বড় নির্মাণ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। এসব প্রকল্পের কারণে ভারী যন্ত্রপাতির ব্যবহার অনেক বেড়ে গেছে। ফলে বেড়েছে এসব যন্ত্রের চাহিদাও। বাজার তৈরি হওয়ায় অনেকেই এখন এ ব্যবসায় যুক্ত হচ্ছে। বাংলাদেশে এ ধরনের যন্ত্রপাতি এখনো তৈরি হয় না। বিদেশ থেকে এনে এ দেশের ব্যবসায়ীরা তা বিক্রি করছেন। নতুন অনেক প্রতিষ্ঠান এই ব্যবসায় যুক্ত হচ্ছে। মূলত ভারী যন্ত্রপাতি উৎপাদনকারী বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠানগুলোর পরিবেশক হিসেবে এ ব্যবসায় যুক্ত হচ্ছে নতুন নতুন প্রতিষ্ঠান। সব মিলিয়ে বাংলাদেশে ভারী যন্ত্রের বাজার ক্রমেই বড় হয়ে উঠছে। এই খাতের সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ীরা বলছেন, অবকাঠামো নির্মাণে ব্যবহারের জন্য বাংলাদেশে যেসব ভারী যন্ত্র ব্যবহার করা হচ্ছে, সেগুলোর বেশির ভাগই ব্যবহৃত। অন্য দেশে ব্যবহারের পর তা এ দেশে আমদানি করা হচ্ছে। অনেকটা রিকন্ডিশন্ড গাড়ির মতো। কারণ হিসেবে খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, নতুন ও পুরোনো যন্ত্রের মধ্যে দামের পার্থক্য অনেক বেশি। এ কারণে পুরোনো যন্ত্রের চাহিদা বেশি। দেশে ছোট-বড় মিলিয়ে প্রতিবছর নতুন ও পুরোনো পাঁচ হাজার যন্ত্র আমদানি হচ্ছে। এসব যন্ত্রের আর্থিক মূল্য প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা। পাঁচ বছর আগেও একহাজার কোটি টাকার কম মুল্যের যন্ত্র আমদানি হতো। বিশ্বে নির্মাণ যন্ত্রের বাজারের বড় অংশই আমেরিকার ক্যাটারপিলারের। বাংলাদেশে ২০০৪ থেকে আমেরিকার ক্যাটারপিলার যন্ত্রের একক পরিবেশক বাংলা ক্যাট। বিশ্ববাজারে তৃতীয় অবস্থান চীনের এক্সসিএমজির, বাংলাদেশে যার পরিবেশক আর্থ মুভিং সলিউশন। চতুর্থ অবস্থানে থাকা চীনের সানি আনছে বাংলাদেশের পাওয়ার ভিশন। এনার্জিপ্যাক আনছে ভারতের জেসিবির যন্ত্র, রানার আনছে দক্ষিণ কোরিয়ার হুন্দাইয়ের যন্ত্র। গত কয়েক বছরে এই ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে এসিআই মোটরস ও মেটাল মোটরস। মেটাল আনছে ভারতের ইসকোর্টের যন্ত্র। এ বিষয়ে মেটালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাদিদ জামিল প্রথম আলোকে বলেন, 'আমরা এখন পর্যন্ত প্রায় ১০০ কোটি টাকার যন্ত্র সরবরাহের আদেশ পেয়েছি। আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান থেকে আমরা এসব কার্যাদেশ পেয়েছি। বড় অনেক প্রকল্প ও সড়কের নির্মাণকাজ চলার কারণে এসব ক্রয়াদেশ আসছে। পাশাপাশি বেসরকারি নির্মাণ প্রতিষ্ঠানও এসব যন্ত্র কিনছে।' এসিআই মোটরস আনছে চীনের লোভল, সুইজারল্যান্ড ও ভারতের কেস এবং জাপান ও ভারতের কোবেলকোর যন্ত্র। পাশাপাশি ভারতের ইন্ডো পাওয়ারের যন্ত্রের পরিবেশকও এসিআই মোটরস। জানতে চাইলে এসিআই মোটরসের নির্বাহী পরিচালক সুব্রত রঞ্জন দাস প্রথম আলোকে বলেন, 'ক্রেতাদের দিক থেকে যেসব দেশের যন্ত্রের ক্রয়াদেশ পাচ্ছি, বিদেশ থেকে আমরা যেসব যন্ত্রই এনে দিচ্ছি। পুরোনো যন্ত্রের বদলে নতুন যন্ত্রের ক্রেতা দিন দিন বাড়ছে। বর্তমানে বছরে প্রায় ১০০ কোটি টাকার বেশি যন্ত্র আমাদের মাধ্যমে বিক্রি হচ্ছে। এ চাহিদা দিন দিন বাড়ছে।' জানা যায়, গ্রাহকেরা নিজে আনলে এসব যন্ত্র আনলে ১ শতাংশ আমদানি কর দিতে হয়। আর প্রতিষ্ঠানগুলো বিক্রির জন্য আনলে ৫ শতাংশ আমদানি কর দিতে হয়। বড় প্রতিষ্ঠানগুলো এসব পরিবেশকের সহায়তায় যন্ত্র আমদানি করে। এক্ষেত্রে দেশীয় পরিবেশকেরা কমিশন পেয়ে থাকে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, দেশে বর্তমানে একসঙ্গে অনেকগুলো বড় প্রকল্পের নির্মাণকাজ চলছে। এসব প্রকল্পের মধ্যে অন্যতম হলো কয়েকটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল ও বিদ্যুৎকেন্দ্র, পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, কর্ণফুলী টানেল, মহেশখালী গভীর সমুদ্রবন্দর, ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্প। পাশাপাশি যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়নে আগের চেয়ে বেশি সড়ক ও রেলপথ নির্মাণ এবং সংস্কারের কাজ চলছে। পাশাপাশি বেসরকারি খাতের দেশি-বিদেশি উদ্যোক্তারাও বড় কারখানা গড়ে তুলছে। আবার আবাসন খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোর নির্মাণকাজেও এখন ভারী যন্ত্রের ব্যবহার বাড়ছে। সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ের অবকাঠামো প্রকল্পে ব্যবহৃত ভারী যন্ত্রের মধ্যে রয়েছে, খনন যন্ত্র এক্সকাভেটর, ভারত্তোলনের বিভিন্ন ধরনের লোডার ও হুইল ডোজারস, ভূমি সমান করার সোয়েল কমপেক্টর, পাইপ সঠিকভাবে স্থাপনের পাইপ লেয়ারস, ব্যাকহো লোডারস ইত্যাদি। এসব যন্ত্রের বড় ক্রেতা সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ, সশস্ত্র বাহিনী, দেশি ও বিদেশি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। দেশের বাজারে ভারী যন্ত্রের সবচেয়ে বড় বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান বাংলা ক্যাট। প্রতিষ্ঠানটির যন্ত্র বিক্রয় বিভাগের প্রধান শাখাওয়াত হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, 'দিনে দিনে দেশীয় ঠিকাদার ও নির্মাণপ্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সচেতনতা গড়ে উঠছে। তবে দাম কম হওয়ায় এখনো পুরোনো যন্ত্রের প্রতিই ক্রেতাদের আগ্রহ বেশি।' খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, এসব যন্ত্রের চলাচলের জন্য চাকা বা ক্রেন থাকলেও পরিবহনের মতো এসব যন্ত্রের জন্য আলাদা নিবন্ধন নিতে হয় না। তাই এসব যন্ত্র কেনার ক্ষেত্রে ঋণ বা লিজ সুবিধা নেই। সরকার যদি ভারী যন্ত্রপাতি নিবন্ধনের আওতায় আনে, তাহলে সরকারের রাজস্ব আয় হবে। আবার দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ারও সুযোগ তৈরি হতো। এ ছাড়া নিবন্ধনপ্রক্রিয়া চালু হলে এসব যন্ত্র কেনার ক্ষেত্রে ঋণসুবিধাও মিলত। তাই বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) এসবের নিবন্ধন চালু করতে পারে।
ব্যবসা,বাণিজ্য
বড় হচ্ছে ভারী যন্ত্রের ব্যবসা
economy
https://samakal.com/sports/article/210560675/৪৩৭-রান-তাড়া-করতে-নেমে-শুরুতেই-ফিরলেন-তামিম
তামিমের পর ফিরলেন সাইফ-শান্তও
ক্যান্ডি টেস্টে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয়ের জন্য ৪৩৭ রানের পাহাড়সম লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। দলীয় ৩১ রানেই আউট হয়ে সাজঘরে ফিরে গেছেন ইনফর্ম ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল। এরপর দ্রুতই ফিরে গেছেন সাইফ হাসান ও নাজমুল হোসেন শান্তও। পাল্লেকেলেতে রোববার ম্যাচের চতুর্থ দিনে এখন তৃতীয় সেশনের খেলা চলছে। ৩১ ওভারের খেলা শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১৩২ রান। মুমিনুল হক ৩১ রানে ব্যাট করছেন। তার সঙ্গে থাকা মুশফিকুর রহিম ব্যাট করছেন ১৪ রানে। জয়ের জন্য এখনও বাংলাদেশের প্রয়োজন ৩০৫ রান। বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে স্বভাবসুলভ আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতেই ব্যাট করছিলেন ওপেনার তামিম ইকবাল। তবে প্রথম ইনিংসে ৯২ রানের ইনিংস খেলা এই ব্যাটসম্যান দ্বিতীয় ইনিংসে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। দলীয় ৩১ রানে মেন্ডিসের বলে উইকেটরক্ষক ডিকভেলার হাতে ধরা পড়ে বিদায় নেন তিনি। ফেরার আগে ৩ চার ও ১ ছয়ে ২৬ বলে ২৪ রানের ইনিংস খেলেন তামিম। তামিমের বিদায়ের পর ব্যাট করতে নামে নাজমুল হোসেন শান্ত। তাকে সঙ্গে নিয়ে দলীয় সংগ্রহে আরও ৪২ রান যোগ করার পর জয়াবিক্রমার বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে আউট হন সাইফ। সুরঙ্গা লাকমলের হাতে ধরা পড়ার আগে ৪৬ বলে ৫ চার ও ১ ছয়ে ৩৪ রান করেন তিনি। এরপর ব্যাট করতে নামে অধিনায়ক মুমিনুল হক। শান্তর সঙ্গে তৃতীয় উইকেটে ৩১ রান যোগ করার পর শান্তকে বোল্ড করে জুটি ভাঙ্গেন জয়াবিক্রমা। শান্ত করেন ২৬ রান। এর আগে মধ্যাহ্ন বিরতির পর৯ উইকেটে ১৯৪ রান তুলে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করে শ্রীলঙ্কা। এতে ম্যাচে তাদের লিড বেড়ে দাঁড়ায় ৪৩৬ রান। ফলে জয়ের জন্য ৪৩৭ রানের পাহাড়সম লক্ষ্য পায় বাংলাদেশ।টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে এতো রান তাড়া করে জয়ের নজির নেই। অর্থাৎ জিততে হলে নতুন রেকর্ড গড়েই জিততে হবে বাংলাদেশকে। দ্বিতীয় ইনিংসে শ্রীলঙ্কার পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৬ রান করেন ওপেনার দিমুথ করুনারত্নে। এ ছাড়া ধনঞ্জয়া ডি সিলভা করেন ৪১ রান। বাংলাদেশের পক্ষে বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম ৭২ রানে ৫ উইকেট নেন। এ ছাড়া মেহেদি হাসান মিরাজ ২টি এবং তাসকিন আহমেদ ও সাইফ হাসান একটি করে উইকেট নেন। গত বৃহস্পতিবার ক্যান্ডির পাল্লেকেলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুরু হওয়া ম্যাচে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নামে শ্রীলঙ্কা। দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান দিমুথ করুনারত্নে ও লাহিরু থিরিমান্নের জোড়া শতকে ভর করে ৭ উইকেটে ৪৯৩ রান তুলে শনিবার ম্যাচের তৃতীয় দিনের সকালে ইনিংস ঘোষণা করে স্বাগতিকরা। ওপেনার লাহিরু থিরিমান্নে সর্বোচ্চ ১৪০ রান করেন। আরেক উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান দিমুথ করুনারত্নে করেন ১১৮ রান। এ ছাড়া ওশাদা ফার্নান্দো ৮১ এবং নিরোশান ডিকভেলা ৭৭ রান। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল বোলার ছিলেন তাসকিন আহমেদ। ১২৭ রানে ৪ উইকেট তুলে নেন এই পেসার। এ ছাড়া মেহেদি হাসান মিরাজ, শরিফুল ইসলাম ও তাইজুল ইসলাম একটি করে উইকেট নেন। প্রথম ইনিংসে শ্রীলঙ্কার পাঁচশ' ছোঁয়া সংগ্রহের জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা মন্দ হয়নি টাইগারদের। প্রথম উইকেট জুটিতেই তামিম ইকবাল ও সাইফ হাসান তুলে ফেলেন ৯৮ রান। তবে এরপরই যেন হঠাৎ খেই হারিয়ে ফেলেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। এক রানের ব্যবধানে ফিরে যান সাইফ ও নাজমুল হোসেন শান্ত। ফলে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৯৮ রান তোলা বাংলাদেশের স্কোর মুহূর্তেই বদলে যায় ২ উইকেটে ৯৯ রানে। এরপর তৃতীয় উইকেটে তামিম ও মুমিনুল এবং চতুর্থ উইকেটে মুমিনুল ও মুশফিকের দু'টি অর্ধশত রানের জুটিতে ধাক্কা সামলে ভালোই এগোচ্ছিল বাংলাদেশ। তবে ৩ উইকেট হারিয়ে ২১৪ রান তোলার পরই সর্বনাশের শুরু। এরপর মাত্র ৩৭ রান তুলতেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন বাংলাদেশের শেষ সাত ব্যাটসম্যান। ফলে ২৫১ রানেই অলআউট হয় বাংলাদেশ। এতে প্রথম ইনিংসে ২৪২ রানের লিড পায় শ্রীলঙ্কা। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ৯২ রান করেন তামিম ইকবাল। এ ছাড়া মুমিনুল হক ৪৯ ও মুশফিকুর রহিম ৪০ রান করেন। শ্রীলঙ্কার পক্ষে প্রথম ইনিংসে অভিষিক্ত প্রভীন জয়াবিক্রমা ৯২ রান ৬ উইকেট নেন। এ ছাড়া সুরঙ্গা লাকমল ও রমেন মেন্ডিস দুটি করে উইকেট নেন। প্রসঙ্গত, ক্যান্ডিতে শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশের মধ্যকার দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্ট ড্র হয়।
বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা টেস্ট সিরিজ,বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা টেস্ট,বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা,ক্যান্ডি টেস্ট,ক্রিকেট
বাংলাদেশের উইকেট পতনের পর শ্রীলঙ্কার খেলোয়াড়দের উল্লাসএএফপি
sports
https://www.ajkerpatrika.com/104335/%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A6%95%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A7%8B%E0%A6%A7%E0%A7%80-%E0%A6%85%E0%A6%AD%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%87-%E0%A6%B0%E2%80%8C%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%93%E0%A6%AA%E0%A6%B0-%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%B2%E0%A6%BE
মাদকবিরোধী অভিযানে র্যাবের ওপর হামলা
গোদাগাড়ী উপজেলায় মাদকবিরোধী অভিযানে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন র্যাব সদস্যরা। এতে চাপাতির কোপে মো. রোকনুজ্জামান নামে র্যাবের একজন কনস্টেবল জখম হয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলার বিজয়নগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। তাঁদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে।গ্রেপ্তাররা হলেন গোদাগাড়ী পৌরসভার মাদারপুর ডিম ভাঙা মহল্লার নুরুজ্জামান কাজলের সৎ ছেলে শাহরিয়ার নাজিম ওরফে জয় (২১), বুজরুক রাজারামপুর হলের মোড় এলাকার কবিরুল ইসলামের ছেলে পরশ ওরফে মাহিদ হাসান (১৯) ও সিঅ্যান্ডবি গড়ের মাঠ এলাকার আবদুল মালেকের ছেলে তারেক মাহফুজ (১৯)। উপজেলার বিজয়নগর এলাকা থেকে ওই তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের কাছ থেকে জব্দ করা হয় ১৭৭ বোতল ফেনসিডিল, একটি চাপাতি এবং একটি খেলনা পিস্তল। র্যাব-৫ এর রাজশাহীর মোল্লাপাড়া ক্যাম্পের স্কোয়াড কমান্ডার মারুফ হোসেন খানের নেতৃত্বে র্যাবের একটি দল এ অভিযান চালায়। ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মারুফ হোসেন খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।মারুফ হোসেন খান জানান, ফেনসিডিল বিক্রির জন্য মাদক ব্যবসায়ীরা অপেক্ষা করছেন, এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাঁরা অভিযানে যান। তখন চারজন দুটি বস্তা ফেলে পালানোর চেষ্টা করেন। র্যাব সদস্যরা তাঁদের চার দিক থেকে ঘিরে ফেললে পরশ তার হাতে থাকা ধারালো চাপাতি দিয়ে কনস্টেবল মো. রোকনুজ্জামানের মাথায় আঘাতের চেষ্টা করেন। প্রতিহত করতে গেলে রোকনুজ্জামানের একটি আঙুল কেটে রক্তাক্ত জখম হয়। আর জয় তাঁর কোমর থেকে একটি খেলনা পিস্তল বের করেন।এভাবে তাঁরা র্যাব সদস্যদের ভয় দেখিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। পরে র্যাব সদস্যরা তিনজনকে ধরতে সক্ষম হয়। অন্য একজন পালিয়ে গেছেন। ঘটনার পর আহত র্যাব সদস্য রোকনুজ্জামান গোদাগাড়ী ৩১ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।এ ঘটনায় র্যাবে কর্মরত উপপরিদর্শক ত্রিনিবাস মিস্ত্রি বাদী হয়ে গোদাগাড়ী থানায় চারজনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছেন। মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে তাঁদের হেফাজতে মাদক রাখা, সরকারি কাজে বাধা দান, র্যাব সদস্যদের ওপর হামলার অভিযোগ আনা হয়েছে। গ্রেপ্তার তিনজনকে গোদাগাড়ী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
রাজশাহী জেলা,রাজশাহী বিভাগ,হামলা,গোদাগাড়ী,কনস্টেবল,মাদকবিরোধী,রাজশাহী,ছাপা সংস্করণ,রাজশাহী সংস্করণ,আজকের রাজশাহী
গোদাগাড়ীতে র্যাবের মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা।
national
https://samakal.com/whole-country/article/19021678/প্রথমবার-চকবাজারে-গিয়েছিলেন-ডা-আশরাফুল
জীবনে প্রথমবার চকবাজারে গিয়েছিলেন ডা. আশরাফুল
চিকিৎসক বন্ধু ইমরোজ ইমতিয়াজ রাসুর চেম্বার পুরান ঢাকার চকবাজারের মদিনা ডেন্টাল ক্লিনিকে ব্যবহারিক কাজ শিখতে গিয়েছিলেন সদ্য এমবিবিএস (ডেন্টাল) পাস করা ডা. আশরাফুল হক রাজন। জীবনের প্রথম পুরান ঢাকার চকবাজারে গিয়েছিলেন তিনি। ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস, সেখানে গিয়ে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে লাশ হয়ে ফিরলেন তিনি। তার সঙ্গে আগুনে দগ্ধ হয়ে মারা গেছেন তার বন্ধু রাসু ও ক্লিনিক মালিক ঢাবির ছাত্র কাউছার আহম্মেদ। আশরাফুল বিকেলে বাসা থেকে বের হওয়ার সময় মাকে বলে গেছেন ফিরতে দেরি হবে। মা গভীর রাত পর্যন্ত অপেক্ষা করেন ছেলের জন্য। মোবাইল ফোনে রিং হলেও ফোন ধরছে না ছেলে। উৎকণ্ঠায় পড়ে পুরো পরিবার। সকালে তার ক্যাম্পাস বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজে গিয়ে পরিবার জানতে পারে, বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে পুরান ঢাকায় গেছেন আশরাফুল। তার ভাইরা ছুটে যান পুরান ঢাকার চকবাজারে। কিন্তু ঘটনাস্থলে যেতে না পেরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান তারা। সেখানে আহতদের তালিকায় ভাইকে না দেখতে পেয়ে তাদের উৎকণ্ঠা আরও বেড়ে যায়। একসময় মর্গে গিয়ে লাশ শনাক্ত করেন তার ছোট ভাই ফখরুল হক সুজন। এ খবর তার গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ফরদাবাদ গ্রামে পৌঁছলে আত্মীয়-স্বজন ও এলাকাবাসীর মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে। গত বৃহস্পতিবার রাতে তার প্রিয় ক্যাম্পাস বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজে প্রথম জানাজা ও গতকাল শুক্রবার ফরদাবাদে নিজ বাড়িতে দ্বিতীয় জানাজা শেষে তার লাশ পরিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। স্থানীয় সংসদ সদস্য ক্যাপ্টেন (অব.) এবি তাজুল ইসলাম শুক্রবার দুপুরে সমবেদনা জানাতে নিহতের বাড়িতে যান। এ সময় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল ইসলামসহ দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। আশরাফুলের বাবা জামশেদ মিয়া বলেন, আমার ইচ্ছা ছিল ছেলে ডাক্তার হয়ে গ্রামের মানুষকে বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা দেবে। ডাক্তারি পাস করে ব্যবহারিক কাজ শিখতে বন্ধুর চেম্বারে গিয়েছিল। কিন্তু আগুন আমার ছেলেকে কেড়ে নিল।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া,চকবাজার ট্র্যাজেডি
নিহত রাজন
national
https://www.dailynayadiganta.com/middle-east/331813/ইসরাইলের-ক্ষেপণাস্ত্র-হামলা-রুখে-দিলো-সিরিয়া
ইসরাইলের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা রুখে দিলো সিরিয়া
সিরিয়ার এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম একটি ইসরাইলি বিমানকে আঘাত করার পাশাপাশি একটি বিমানঘাঁটি লক্ষ্য করে ছোড়া কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করেছে বলে দাবি করেছে সিরিয়ার সেনাবাহিনী। রোববার রাতে হোমস প্রদেশের টিফোর বিমানঘাঁটি লক্ষ্য করে ওই ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ছোড়া হয়েছিল বলে সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে এক ইসরাইলি সামরিক মুখপাত্র বলেন, ইসরাইল বিদেশী খবরের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করে না।সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা এসএএনএ জানিয়েছে, ওই ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় কোনো প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি, শুধু কিছু বস্তুগত ক্ষতি হয়েছে। এসএএনএতে প্রকাশিত উদ্ধৃতিতে সিরিয়ার এক সামরিক কর্মকর্তা বলেছেন, আমাদের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ইসরাইলের একটি আগ্রাসন রুখে দিয়েছে, টি ফোর বিমানবন্দরকে লক্ষ্য করে ছোড়া বেশ কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করেছে। এয়ার ডিফেন্স হামলাকারী বিমানগুলোর মধ্যে একটিকে আঘাত করেছে এবং বাকি বিমানগুলোকে সিরিয়ার আকাশসীমা ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছে। সাত বছর ধরে চলা গৃহযুদ্ধের সূত্রে প্রতিবেশী সিরিয়ায় ইরানের প্রভাব বৃদ্ধি নিয়ে উদ্বিগ্ন ইসরাইল। সম্প্রতি সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে মিত্র ইরান, রাশিয়া ও অন্যান্য বাহিনীর সহায়তায় প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের একের পর এক সাফল্যে শঙ্কিত ইসরাইল। এর আগে সিরিয়ার ভেতরে ইরানি স্থাপনা ও লেবাননের তেহরান সমর্থিত গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর অস্ত্রাগার ও সরবরাহ লাইনে বহুবার হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। আরো পড়ুন : চীনের সাথে উত্তেজনার মধ্যে তাইওয়ান প্রণালীতে মার্কিন যুদ্ধজাহাজএএফপিতাইওয়ান প্রণালীতে শনিবার দু'টি মার্কিন যুদ্ধজাহাজ প্রবেশ করেছে। যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের বাণিজ্য যুদ্ধ শুরুর এক দিন পর এ ঘটনা ঘটল। তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা দফতর এ খবর জানিয়েছে। ফলে চীনের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের উত্তেজনায় আরো মাত্রা যোগ হলে বলে মনে করা হচ্ছে।তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা দফতর এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, চীন ও তাইওয়ানকে আলাদা করা নৌসীমায় শনিবার সকালে দু'টি মার্কিন যুদ্ধজাহাজ প্রবেশ করে। ইউএসএস মাস্টিন ও ইউএসএস বেনফোল্ড নামের জাহাজ দু'টি শনিবার রাতেও আন্তর্জাতিক নৌসীমা হিসেবে পরিচিত এলাকায় অবস্থান করছিল বলে নিশ্চিত করেছে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা দফতর। তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা দফতরের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তাদের সামরিক বাহিনী পার্শ্ববর্তী এলাকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষার আত্মবিশ্বাস তাদের রয়েছে বলেও দাবি করা হয় ওই বিবৃতিতে। মার্কিন প্রশান্ত মহাসাগরীয় নৌবহরের মুখপাত্র ক্যাপ্টেন চারলি ব্রাউন বলেছেন, যুদ্ধজাহাজ দু'টি ওই এলাকা অতিক্রম করছে। তবে এর কৌশলগত তাৎপর্য নিয়ে তিনি কিছু জানাননি। তিনি বলেন, 'মার্কিন নৌজাহাজগুলো দক্ষিণ চীন সাগর ও পূর্ব চীন সাগরে যেতে তাইওয়ান প্রণালী ব্যবহার করেছ। বহু বছর ধরেই এটি করা হয়ে থাকে।' তবে এমন এক সময়ে এই যুদ্ধজাহাজ ওই নৌসীমায় প্রবেশ করল যেদিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে বাণিজ্যযুদ্ধ শুরু হয়েছে। আবার একই সময়ে বেইজিং ও তাইপের মধ্যেও চলছে উত্তেজনা। শুক্রবার ৩ হাজার ৪০০ কোটি ডলারের চীনা পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক কার্যকর করেছেন মার্কিন প্রেসেডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে মার্কিন পণ্যের ওপর শুল্কারোপ করে। বেইজিং একে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় 'বাণিজ্যিক যুদ্ধ' আখ্যা দিয়েছে।স্বায়ত্তশাসিত গণতান্ত্রিক দ্বীপ তাইওয়ানকে নিজেদের ভূখণ্ড বলে দাবি করে চীন। প্রয়োজনে বল প্রয়োগ করে হলেও তাদের একত্র রাখতে চায় বেইজিং।
null
ইসরাইলের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা রুখে দিলো সিরিয়া
international
https://samakal.com/bangladesh/article/1808773/প্রাণ-যে-করিবে-দান
নিঃশেষে প্রাণ যে করিবে দান...
সমকাল পরিবারের অভিভাবক, দেশের সংবাদমাধ্যম জগতের উজ্জ্বল নক্ষত্র, বাংলাদেশের গৌরবোজ্জ্বল স্বাধীনতা সংগ্রামে রণাঙ্গনের অকুতোভয় মুক্তিসেনা, একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক গোলাম সারওয়ার আর আমাদের মাঝে নেই। সোমবার বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা ২৫ মিনিটে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসকরা আমাদেরকে সেই সংবাদটি জানিয়েছেন। সমকাল পরিবারের পক্ষে আমরা তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। শোকসন্তপ্ত পরিবারের সব সদস্য, গুণগ্রাহী ও স্বজন-বন্ধুদের প্রতি জানাচ্ছি গভীর সমবেদনা। কৈশোরেই গোলাম সারওয়ারের হাতেখড়ি হয়েছিল সাংবাদিকতায়। তারপর ক্রমাগত পথ চলেছেন, ক্ষুরধার লেখনীর পাশাপাশি কাঁধে তুলে নিয়েছেন সম্পাদনা ও পরিচালনার গুরুভার। পাঁচ দশকের বেশি সময় ধরে সক্রিয় ছিলেন এ পেশায়। মুক্তমনের মানুষ ছিলেন। গণতান্ত্রিক মানসিকতা ও ঔদার্যের জন্য সর্বমহলে সুপরিচিত ছিলেন। অসাম্প্রদায়িক ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিজে ধারণ করতেন, যখন যে সংবাদমাধ্যমে যুক্ত ছিলেন, তার মধ্য দিয়েও তা ছড়িয়ে দিতে সচেষ্ট থাকতেন। দেশের জন্য, সব শ্রেণি-পেশার মানুষের কল্যাণের জন্য ছিলেন নিবেদিত। বাংলা সংবাদপত্রের আধুনিক ও বৈচিত্র্যময় যে রূপ, তা পুষ্ট করেছেন তিলে তিলে, শ্রম-ঘাম-সৃজনশীলতায়। সম্পাদকের দায়িত্বভার যখন কাঁধে তুলে নিয়েছেন, তখনও বার্তাকক্ষে তাঁর উপস্থিতি ছিল সর্বক্ষণের। কাজ করেছেন নিষ্ঠা ও পরম আন্তরিকতায়। দেশের যে কোনো প্রান্তে যা কিছু ঘটুক না কেন- রাজনীতি-অর্থনীতি-খেলাধুলা-সংস্কৃতি-পরিবেশ, তাঁর তীক্ষষ্ট ও সচেতন দৃষ্টির বাইরে কোনো কিছুই থাকতে পারত না। নিজের প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় সদাসক্রিয় থাকার পাশাপাশি তিনি নতুন প্রজন্মের সংবাদমাধ্যম কর্মী গড়ে তোলায় সব ধরনের সহায়তা দিয়েছেন। সংবাদমাধ্যম-সংশ্নিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্ব দিয়েছেন। দায়িত্ব পালন করেছেন বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের চেয়ারম্যান ও সম্পাদক পরিষদের সভাপতি হিসেবে। বাংলাদেশের সংবাদপত্র-সংশ্নিষ্ট সকলেই তাঁর অভাব প্রতিনিয়ত অনুভব করবে। আমরা কেবল এ সান্ত্বনাই পেতে পারি যে তিনি নিজেকে যেভাবে সংবাদমাধ্যমের জন্য নিঃশেষে উজাড় করে দিয়েছেন, সে পথ ধরে এরই মধ্যে এ পেশায় এগিয়ে এসেছেন অনেকে; ভবিষ্যতেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে।
বিশেষ সম্পাদকীয়,গোলাম সারওয়ার,সমকাল সম্পাদক
সম্পাদক গোলাম সারওয়ার
national
https://www.dailynayadiganta.com/cricket/386366/ঢাকার-অন্যরকম-হ্যাটট্রিক
ঢাকার অন্যরকম হ্যাটট্রিক
হ্যাটট্রিকটা আসল 'হ্যাটট্রিক'ই হতো যদি ঢাকা ডায়নামাইটসের রুবেল হোসেন তৃতীয় বলে আরো একটি উইকেট পেতেন। কিন্তু সেই হ্যাটট্রিক না হলেও অন্যরকম একটি হ্যাটট্রিক ঠিকই হয়েছে। সেটা কেমন? ৩.৬ ওভারে শুভাগত হোম রংপুরের নাদিম চৌধুরীকে প্রথম সাজঘরে ফেরান। চার-ছক্কার ঝড় মাত্রই তুলেছিলেন তিনি। ১২ বলে দুই বাউন্ডারি ও তিনটি ছক্কায় দ্রুতই ২৭ রান তুলে ফেলেন এই ওপেনার। কিন্তু শুভাগত হোম তাকে বাড়ি ফিরিয়ে দেন। পরের ওভারে বল হাতে আসেন রুবেল। প্রথম বলেই ক্যারিবীয় দানব ক্রিস গেইলকে শিকার করে নেন। ১৩ বলে দুই ছক্কায় ১৫ রান করেছিলেন তিনি। দ্বিতীয় বলে তার শিকার হন মাত্র ক্রিজে আসা রিলি রুশো। শূন্য হাতে ফিরে যান তিনি। ফলে রুবেলের হ্যাটট্রিকের সুযোগ তৈরি হয়। মাঠে উত্তেজনা। ফিল্ডাররা উল্লাসে ফেটে পড়লেন। তৃতীয় বলে দৌড়ে এলেন রুবেল। বল ছুঁড়লেন। কিন্তু হলো না। তবে তিন বলে তিন উইকেটের পতনে অন্যরকম হ্যাটট্রিক তো হলো! এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে রংপুরকে ভালোই চাপে রেখেছে ঢাকা। সাত ওভারে তিন উইকেট হারিয়ে মাশরাফিদের সংগ্রহ ৪৯ রান। ক্রিজে আছেন রবি বোপারা ও মোহাম্মদ মিথুন। লিগ পর্বে দুইবার লড়াই করেছে ঢাকা-রংপুর। একটি ম্যাচ জিতেছে ঢাকা আর একটি রংপুর। আজ তাই শেয়ানে শেয়ানে লড়াই হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। আজ ঢাকার একাদশে কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি। চিটাগং ভাইকিংসের বিপক্ষের একাদশ নিয়েই মাঠে নামবে তারা। তবে রংপুরে দুটি পরিবর্তন আনা হয়েছে। সোহাগ গাজী ও মেহেদী মারুফের বদলে দলে নেয়া হয়েছে নাদিফ চৌধুরী ও নাজমুল ইসলামকে। এলিমিনেটর ম্যাচ মুশফিকুর রহিমের টিচাগং ভাইকিংসকে বিদায় করে দ্বিতীয় কোয়ালিয়াফারেেউঠে সাকিবরা। আর প্রথম কোয়ালিফায়ারে কুমিল্লার কাছে হেরে আজ সাকিবদের বিপক্ষে লড়তে যাচ্ছে মাশরাফিরা। ঢাকা ডায়নামাইটস একাদশ : সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), নুরুল হাসান, রুবেল হোসেন, শুভাগত হোম, রনি তালুকদার, কাজি অনিক, মাহমুদুল হাসান, আন্দ্রে রাসেল, কাইরন পোলার্ড, সুনীল নারাইন ও উপুল থারাঙ্গা। রংপু র রাইডার্স একাদশ :মাশরাফি মর্তুজা (অধিনায়ক), মোহাম্মদ মিথুন, নাহিদুল ইসলাম, শফিউল ইসলাম, ফরহাদ রেজা, নাজমুল ইসলাম, নাদিফ চৌধুরী, ক্রিস গেইল, রবি বোপারা, রিলি রুশো ও বেনি হোয়েল।
null
রুবেল হোসেন
sports
https://samakal.com/whole-country/article/200627650/পিসিআর-ল্যাব-ও-আইসিইউ-স্থাপনের-দাবি
নওগাঁয় পিসিআর ল্যাব ও আইসিইউ স্থাপনের দাবি
নওগাঁয় করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষার জন্য পিসিআর ল্যাব ওআইসিইউ স্থাপনের দাবিতে সামাজিক দুরুত্ব বজায় রেখেমানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। শহরের মুক্তির মোড় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনের সড়কে শনিবার দুপুরে সামাজিক ওসাংস্কৃতিক সংগঠন একুশে পরিষদ নওগাঁর উদ্যোগে ঘণ্টাব্যাপী এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। এ সময় বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সভাপতি অ্যাডভোকেট ডিএম আব্দুল বারী, সাধারণ সম্পাদক এমএম রাসেল, সংগঠনের সদস্য নাইচ পারভীন ও সুষমা সাথী চৌধূরী, সাংগঠনিক সম্পাদক বিষ্ণু কুমার দেবনাথ, বাসদ নেতা জয়নাল আবেদিন মুকুল, নাইস পারভীন প্রমুখ। বক্তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নওগাঁর ২৮ লাখ জনসংখ্যার কথা বিবেচনা করে তাদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করার জন্য নওগাঁমেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল দিয়েছেন। করোনাভাইরাসের প্রার্দুভাবে করোনার নমুনা পরীক্ষার জন্য নওগাঁয় পিসিআর ল্যাব ও আইসিইউ না থাকায় এখানকার নমুনাগুলো ঢাকা,রাজশাহী ল্যাবে পাঠাতে হচ্ছে। এতে করে এসব নমুনার রিপোর্ট আসতে সময় লাগছে ৭ থেকে ১০ দিন। ফলে এখানকার সাধারণ মানুষকে চরম সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। তাই জনগণের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করার জন্য অনতিবিলম্বে নওগাঁ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পিসিআর ল্যাব ও আইসিইউ স্থাপনের দাবি জানান তারা। এর আগে একই দাবিতে এই সংগঠনের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসক ও জেলা সিভিল সার্জনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। উল্লেখ্য, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর রাজশাহী বিভাগের তিনটি জেলাকে রেড জোন হিসাবে চিহিৃত করেছে। তার মধ্যে নওগাঁ একটি। বর্তমানে এই জেলায় ২৩৯ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এই সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে।
নওগাঁ,করোনাভাইরাস,পিসিআর ল্যাব
মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীদের একাংশ
national
https://bangla.dhakatribune.com/international/2022/02/02/1643776337210
বিশ্বে শনাক্ত ছাড়াল ৩৮ কোটি, মৃত্যু ৫৭ লাখ
গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১১ হাজার ১৬৮ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৪ হাজার। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ৫৬ লাখ ৮৫ হাজারের বেশি মানুষ। একইসঙ্গে বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ২৮ লাখ ৬২ হাজার ৬৪৬ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৯ লাখ। এ নিয়ে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৩৮ কোটি ১৭ লাখ ৯৫ হাজার ৭৮৬ জন। বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮টায় জনস হপকিনস ইউনিভার্সিটির করোনাভাইরাস রিসোর্স সেন্টার এ তথ্য জানিয়েছে। এতে আরও বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে ফ্রান্সে। অন্যদিকে দৈনিক মৃত্যুর তালিকায় শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এরপরই অবস্থান করছে যথাক্রমে ব্রাজিল, রাশিয়া, ফ্রান্স, ইতালি ও স্পেন। এখন পর্যন্ত আক্রান্তের দিক থেকে বিশ্বে দ্বিতীয় স্থানে থাকা ভারতে এখন পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছে ৪ কোটি ১৪ লাখ ৫৯ হাজার ৪৯৯ জন। মৃত্যুর দিক থেকে তৃতীয় অবস্থানে থাকা দেশটিতে এ পর্যন্ত মারা গেছেন ৪ লাখ ৯৬ হাজার ২৪২ জন। ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, সংক্রমণের দিক থেকে তৃতীয় এবং মৃত্যুর দিক থেকে দ্বিতীয় স্থানে থাকা ব্রাজিলে নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ২ কোটি ৫৬ লাখ ৩৪ হাজার ৭৪১ জন এবং মারা গেছেন ৬ লাখ ২৮ হাজার ৩৫৬ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় রাশিয়ায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৬৬৩ জন এবং নতুন করে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ১ লাখ ২৫ হাজার ৮৩৬ জন। তুরস্ক এবং ইতালিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন যথাক্রমে ১ লাখ ২ হাজার ৬০১ জন ও ১ লাখ ৩৩ হাজার ১৪২ জন এবং মারা গেছেন ১৯৮ জন ও ৩৩৯ জন।
করোনাভাইরাস,কোভিডে মৃত্যু
মালয়েশিয়ায় কোভিডে মৃত্যু হওয়া এক ব্যক্তির মরদেহ দাফন
international
https://www.bhorerkagoj.com/2021/04/07/%e0%a6%95%e0%a6%b0%e0%a7%8b%e0%a6%a8%e0%a6%be%e0%a7%9f-%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a6%be-%e0%a6%97%e0%a7%87%e0%a6%b2%e0%a7%87%e0%a6%a8-%e0%a6%b6%e0%a6%bf%e0%a6%b2%e0%a7%8d%e0%a6%aa%e0%a7%80/
করোনায় মারা গেলেন শিল্পী ইন্দ্রমোহন রাজবংশী
করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শব্দ সৈনিক, গীতিকার ও সুরকার ইন্দ্রমোহন রাজবংশী। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার (৭ এপ্রিল) সকাল ১০টা ২০ মিনিটের দিকে তার মৃত্যু হয়। গণমাধ্যমকে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জুলফিকার আহমেদ আমিন। ইন্দ্রমোহন রাজবংশী এর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শোকবার্তায় তিনি বলেন, দেশের লোকগানের বিকাশে একুশে পদকপ্রাপ্ত এ গুণী শিল্পীর অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে। প্রধানমন্ত্রী তার আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের উপদেষ্টা কাজল দেবনাথ জানান, ইন্দ্রমোহন রাজবংশী বেশ ক'দিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং আজ সকালে আমাদের ছেড়ে অমৃতলোকে চলে গেলেন। বৌদিও নানা জটিল অসুখে ভুগছেন, বাসায় আছেন, তবে তার করোনা নয়। এর আগে রাজধানীর মালিবাগের প্রশান্তি হাসপাতালে ও মহাখালী মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। সে সময় করোনা পরীক্ষায় পজিটিভ হন তিনি। এছাড়া তার ফুসফুসেও ইনফেশন ধরা পড়ে। ইন্দ্রমোহন রাজবংশী একজন বাংলাদেশি লোকগানের শিল্পী ও মুক্তিযোদ্ধা। তিনি ভাওয়াইয়া, ভাটিয়ালী, জারি, সারি, মুর্শিদি ইত্যাদি গান গেয়ে থাকেন। পরবর্তী সময়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গান গেয়ে নিজেকে রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তিনি ২০১৮ সালে সঙ্গীত বিভাগে একুশে পদক লাভ করেন। ইন্দ্রমোহন রাজবংশী সংগীত কলেজে লোকসঙ্গীত বিভাগের প্রধান হিসেবে কাজ করেছেন দীর্ঘদিন। তিনি বাংলাদেশ লোকসঙ্গীত পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা। তিনি চলচ্চিত্র, বেতার, টেলিভিশন ইত্যাদিতে তিনি অনেক গান গেয়েছেন। ১৯৬৭ সালে চেনা অচেনা চলচ্চিত্রের গান গাওয়ার মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্রে প্লেব্যাক করেন। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হলে ইন্দ্রমোহন রাজবংশী যুদ্ধে অংশগ্রহণের জন্য মনস্থির করেন। কিন্তু পাকিস্তানিদের হাতে ধরা পড়ে যাওয়ায় সম্মুখ যুদ্ধে তিনি যেতে পারেননি। পাকিস্তানিরা সংখ্যালঘু বিশেষ করে হিন্দুদের ওপর অকথ্য নির্যাতন করায় ইন্দ্রমোহন রাজবংশী নিজের নাম পরিচয় গোপন করে পাকিস্তানিদের দোভাষী হিসেবে কাজ করেছেন কিছুদিন। পরবর্তীকালে সেখান থেকে চলে এসে মুক্তিযোদ্ধাদের অনুপ্রেরণা দিতে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে গান গাওয়া শুরু করেন। ইন্দ্রমোহন রাজবংশী গান গাওয়ার পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে লোকগান সংগ্রহ করতেন। তিনি এক হাজারেরও বেশি কবির লেখা কয়েক লক্ষ গান সংগ্রহ করেছেন। সঙ্গীতে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ২০১৮ সালে বিখ্যাত এই শিল্পীকে একুশে পদক দেওয়া হয়। ইন্দ্রমোহন রাজবংশীর স্ত্রীর নাম দীপ্তি রাজবংশী, পুত্র রবীন রাজবংশী ও মেয়ে প্রবাসী। তারা নিজেরাও লোকগানের সঙ্গে জড়িত। এসএইচ
null
ইন্দ্রমোহন রাজবংশী।
national
https://www.bhorerkagoj.com/2021/11/23/%e0%a6%ac%e0%a7%81%e0%a6%b2%e0%a6%97%e0%a7%87%e0%a6%b0%e0%a6%bf%e0%a6%af%e0%a6%bc%e0%a6%be%e0%a6%af%e0%a6%bc-%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%b8-%e0%a6%a6%e0%a7%81%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%98%e0%a6%9f%e0%a6%a8/
বুলগেরিয়ায় বাসে আগুন, ৪৫ জনের মৃত্যু
বুলগেরিয়ায় বাস দুর্ঘটনায় অন্তত ৪৫ জন নিহত হয়েছেন। বলকান এ রাষ্ট্রের পশ্চিমাঞ্চলে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) মহাসড়কের ওপর একটি বাসে আগুন ধরে গেলে এ প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। বুলগেরিয়ার কর্মকর্তারা এ খবর নিশ্চিত করেছে। খবর রয়টার্স ও বিবিসির। মঙ্গলবার রাত দুইটার সময় বুলগেরিয়ার পশ্চিমাঞ্চলে রাজধানী সোফিয়ামুখী মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। বুলগেরিয়ার একটি বেসরকারি টেলিভিশনকে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ফায়ার সেইফটি বিভাগের প্রধান নিকোলাই নিকোলভ বলেন, নিহতদের মধ্যে শিশুও আছে। দগ্ধ সাতজনকে সোফিয়ার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। উত্তর মেসিডোনিয়া থেকে সোফিয়াগামী ওই ট্যুরিস্ট বাসে ৫২ জন আরোহী ছিলেন। যাদের মৃত্যু হয়েছে, তাদের মধ্যে অন্তত ১২ জন অপ্রাপ্তবয়স্ক। সোফিয়ায় উত্তর ম্যাসিডোনিয়ার দূতাবাস জানিয়েছে, বাসের বেশিরভাগ যাত্রীই তাদের দেশের নাগরিক ছিলেন। বাসের নম্বরপ্লেটও ছিল উত্তর ম্যাসিডোনিয়ার। সোমবার বাসটি তুরস্ক থেকে যাত্রা শুরু করে। অনুমান করা হচ্ছে এর গন্তব্য ছিল উত্তর মেসিডোনিয়া। গভীর রাতে বাসটি বুলগেরিয়ায় ঢোকে।
বলকান,বুলগেরিয়া
আগুন ধরে যাওয়া বাসকে ঘিরে উদ্ধারকর্মীরা।
international
https://www.ajkerpatrika.com/87205/%E0%A6%89%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A6-%E0%A7%AA-%E0%A6%AF%E0%A7%81%E0%A6%AC%E0%A6%95%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A7%9C%E0%A6%BF%E0%A6%AA%E0%A7%87%E0%A6%9F%E0%A6%BE
উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ, ৪ যুবককে হাতুড়িপেটা
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে এক স্কুলছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদ করায় চার যুবককে হাতুড়িপেটা করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার শিলাইদহ কাঁচা বাজারে এ ঘটনা ঘটে।আহতরা হলেন উপজেলার শিলাইদহ ইউনিয়নের আব্দুস মজিদের ছেলে হৃদয় (২২), বানিয়াপাড়া গ্রামের সোনাই শেখের ছেলে সোহাগ (১৯) ও আকব্বর আলীর ছেলে মামুন (২২) ও সেকেন্দার আলীর ছেলে তুহিন (১৪)। তাঁরা বর্তমানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।এ বিষয়ে আহত মামুন বলেন, 'দুপুরে অজ্ঞাত কিছু বখাটে যুবক শিলাইদহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে উত্ত্যক্ত করছিল। আমরা কয়েকজন তাঁর প্রতিবাদ করলে বখাটেরা চলে যায়।একটু পরে শিলাইদহ কাঁচাবাজারে গেলে কিছু যুবক হাতুড়ি ও লাঠিসোঁটা নিয়ে আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে পালিয়ে যায়। এতে আমরা আহত হলে স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে।'কুমারখালী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) তুষারুজ্জান বলেন, 'ভুক্তোভুগীদের চিকিৎসা চলছে। বিষয়টি তদন্তাধীন। পরে বিস্তারিত জানানো যাবে।'
কুষ্টিয়া,কুমারখালী,ছাপা সংস্করণ,যশোর সংস্করণ,খুলনা সাতক্ষীরা,দুর্বৃত্তরা
উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ, ৪ যুবককে হাতুড়িপেটা
national
https://www.bd-pratidin.com/national/2021/10/28/706002
খালেদাকে বিদেশে নিতে কোকোর স্ত্রীর দৌড়ঝাঁপ
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসা করানোর জন্য একাধিকবার উদ্যোগ নেওয়া হলেও সাজাপ্রাপ্ত আসামি হওয়ায় বিদেশে যাওয়ার সুযোগ হয়নি তার। এমন অবস্থায় শাশুড়িকে বিদেশে নেওয়ার জন্য সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছেন তার ছোট ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান। বিএনপির দলীয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। সূত্র জানায়, করোনা পরবর্তী অসুস্থতার কারণে ৫৩ দিন রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার পর গত ১৯ জুন বাসায় নেওয়া হয় খালেদা জিয়াকে। আবার অসুস্থতা ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য গত ১২ অক্টোবর এভার কেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। ২৪ অক্টোবর রাতে যুক্তরাজ্য থেকে দেশে আসেন কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান। বিমানবন্দর থেকে সরাসরি চলে যান এভার কেয়ার হাসপাতালে। পরের দিন খালেদা জিয়ার ছোট একটি অস্ত্রোপচার হয়। তার শরীরে একটি ছোট চাকা হওয়ায় অস্ত্রোপচার করে সেটি অপসারণ করা হয়। একই সঙ্গে ওই অংশে ক্যান্সারের কোনো জার্ম আছে কি না, সেটা পরীক্ষার জন্য বায়োপসি করতে দেওয়া হয়েছে। এদিকে, শাশুড়িকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিতে নতুন করে সরকারের সঙ্গে দেন দরবার করছেন কোকোর স্ত্রী। এ বিষয়ে বিএনপি কিংবা তার চিকিৎসক টিমের কেউ মিডিয়ায় কথা বলতে রাজি নন। এমনকি খালেদা জিয়ার মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান গণমাধ্যমকে বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। তবে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, খালেদা জিয়াকে লন্ডন, আমেরিকায় না হোক সিঙ্গাপুর হলেও নিতে চায় তার পরিবার। সে ক্ষেত্রে সরকারের নির্বাহী আদেশ ছাড়া এটা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। হাইকোর্টে জামিন পেতে ব্যর্থ হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রীর নির্বাহী আদেশেই কারাগার থেকে বাসায় থাকছেন খালেদা জিয়া। সুতরাং বিদেশে যেতে হলেও তাকে সরকারের বিশেষ আদেশেই যেতে হবে। খালেদা জিয়ার একজন চিকিৎসক জানিয়েছেন, ছোট ধরনের অস্ত্রোপচারেরপর খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা ভালো আছে। তিনি মুখে খাবার খেতে পারছেন। তার জ্বরও কমেছে। তবে তার স্বাস্থ্যগত পুরনো সমস্যাগুলো এখনও রয়েই গেছে। তার বোন সেলিমা ইসলাম বলেন, চিকিৎসকরা উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিতে বলেছেন। সেজন্য সরকারের কাছে বার বার আবেদনও করেছি। কিন্তু সরকার অনুমতি না দিলে আমাদের তো কিছু করার নেই। সূত্র : বাংলানিউজ বিডি প্রতিদিন/এমআই
খালেদা, বিদেশ, কোকো, স্ত্রীর, দৌড়ঝাঁপ
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
national
https://www.bhorerkagoj.com/2021/03/31/%e0%a6%95%e0%a7%8b%e0%a7%9f%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a7%87%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%9f%e0%a6%bf%e0%a6%a8-%e0%a6%ad%e0%a6%be%e0%a6%99%e0%a6%be%e0%a7%9f-%e0%a6%a6%e0%a7%81%e0%a6%87-%e0%a6%b2%e0%a6%a8/
কোয়ারেন্টিন ভাঙায় দুই লন্ডনির ৭ দিনের জেল
সিলেটে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন নীতি না মানার কারণে ২ যুক্তরাজ্য ফেরত প্রবাসীকে ৭ দিনের জেল ও ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ মার্চ) রাতে তাদের এ জেল জরিমানা করা হয়। হোটেল স্টার প্যাসিফিক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রবাসীরা হোটেলে ফেরার পর জানিয়েছেন চুল কাটতে তারা বের হয়েছিলেন। হোটেল ও পুলিশসূত্রে জানা যায়, গত ২২ মার্চ তারা যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফেরেন। তারা দু'জন হলেন আব্দুন নূর ও রউফ আলম হোসেন। এসময় সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক তাদের হোটেল স্টার প্যাসিফিকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়। মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তারা হোটেল থেকে বের হয়ে যান। এসময় হোটেল কর্তৃপক্ষ পুলিশকে বিষয়টি জানায়। পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে তারা হোটেলে ফেরার পর কোয়ারেন্টিন নীতি ভাঙায় তাদেরকে ৭ দিনের জেল ও ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা প্রদান করেন জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার মো. মেজবাহ উদ্দিন। বিষয়টি নিশ্চিত করে মো. মেজবাহ উদ্দিন বলেন, 'প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে থাকা অবস্থায় তারা ২ জন হোটেল থেকে বের হয়ে যান। পরে সন্ধ্যায় ফিরে এলে তাদের ২ জনকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও ৭ দিন করে জেল প্রদান করা হয়।' হোটেল স্টার প্যাসিফিকের কর্মকর্তা জয় দেব দাস বলেন, 'গত ২২ মার্চ তাদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের জন্য পাঠানো হয়। সোমবার তাদের করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। মঙ্গলবার রাতে তাদের রিপোর্ট আসার কথা ছিল। তবে দুপুরে তারা নিচে যাওয়ার কথা বলে হোটেল থেকে বের হন। এসময় আমরা বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করি। পরে সন্ধ্যায় ফেরার পর তারা আমাদের জানিয়েছেন চুল কাঁটতে তারা হোটেল থেকে বের হয়েছিলেন। এসময় ম্যাজিস্ট্রেট তাদের ২ জনকে জেল-জরিমানা প্রদান করেন।' রাত ১১ টার দিকে তিনি জানান, তাদের ২ জনের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। এবিষয়ে মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (গণমাধ্যম) বিএম আশরাফ উল্ল্যাহ তাহের জানান, রাতেই তাদের জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। এর আগে গত ২১ মার্চ নগরের আম্বরখানাস্থ হোটেল ব্রিটানিয়া থেকে এক পরিবারের ৯ সদস্য হোটেল থেকে পালিয়ে নিজ বাড়িতে যান। পরে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু হলে প্রশাসন ও হোটেল কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে তাদের আবার হোটেল ফিরিয়ে আনা হয়। এঘটনার পরে ব্রিটানিয়া হোটেলে আর কোনো যাত্রী না পাঠানোর সিধান্ত নেয় প্রশাসন। এর আগে গত ২০ মার্চ হোটেল লা-ভিস্তায় যুক্তরাজ্যফেরত এক যুবক কোয়ারেন্টিন ভেঙে বিয়ের আয়োজন করেন। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতার সময় কনেপক্ষসহ আরও ৫০ জন অতিথি যোগ দেন। এসব ঘটনার পর থেকে কোয়ারেন্টিন নীতি নিশ্চিত করতে কঠোর হয় সিলেটের প্রশাসন।
null
লন্ডন ফেরত দুই সিলটি। কোয়ারেন্টিন না মানায় তাদের ৭ দিনের জেল ও জরিমানা করা হয়।
national
https://www.ajkerpatrika.com/10567/%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%87-%E0%A6%88%E0%A6%A6-%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%87-%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%9C%E0%A6%A8-%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8B%E0%A6%B0-%E0%A6%B6%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%9F%E0%A6%9B%E0%A7%87-%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%A8
হাসপাতালে ঈদ নেই, স্বজন হারানোর শঙ্কায় কাটছে দিন
আজ পবিত্র ঈদুল আজহা। চারদিকে উৎসবের আমেজ থাকলেও আছে শঙ্কা। করোনা মহামারিতে আনন্দ ও শঙ্কা নিয়েই দিনটি কাটছে। ঈদের নামাজের পর পশু কোরবানির মাধ্যমে আনন্দ ভাগাভাগি করে নিচ্ছেন সবাই। কিন্তু হাসপাতালগুলোতে সম্পূর্ণ ভিন্ন চিত্র। এখানে ঈদের আমেজ নেই। চারদিকে শুধু স্বজন হারানোর শঙ্কা।প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে ফুসফুসের ইনফেকশনে ভুগছেন মমেনা খাতুন (৫৫)। শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় তাঁকে প্রথমে পাবনা সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। এরপর অবস্থার অবনতি হলে আজ বুধবার তাঁকে রাজধানীর মহাখালীর ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতালে আনা হয়। কিন্তু মায়ের জীবন নিয়ে শঙ্কায় আছেন ছেলে মেহেদি হাসান।আজকের পত্রিকাকে মেহেদি বলেন, মায়ের শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় পাবনা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। দুদিন সেখানে থাকার পর আইসিইউ প্রয়োজন বলে জানায় চিকিৎসকেরা। পরে আজ বুধবার ঈদের দিন ভোর চারটার দিকে ঢাকার কল্যাণপুরে ইবনে সিনা হাসপাতালে নিয়ে আসি। কিন্তু সেখান থেকে বলা হয় আইসিইউ নেই। পরে এক আত্মীয়ের মাধ্যমে মহাখালী মহাখালীর ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতালে এনেছি। কিন্তু মায়ের অবস্থা বেশি ভালো না। বাঁচবে কিনা জানি না।শুধু মমেনা নয়, মহাখালীর এই কোভিড হাসপাতালে ঈদের দিনেও রোগীদের চাপ অন্যান্য দিনের মতোই বলছেন দায়িত্বরত চিকিৎসকেরা।বুধবার ঈদের দিন এই হাসপাতালটিতে সরেজমিনে দেখা যায়, কিছুক্ষণ পরপর বিভিন্ন জেলা থেকে রোগীরা আসছেন। যেসব জেলায় আইসিইউ ও অক্সিজেন সংকট আছে সেসব জেলা থেকেই রোগী আসছে বেশি।হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বুধবার দুপুর পর্যন্ত ২৫ জন রোগীকে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকেরা।হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার সৌরভ নাথ শুভ আজকের পত্রিকাকে বলেন, আজ ঈদের দিন। সবাই যখন আনন্দ করছে আমরা তখন মানুষকে সেবা দিচ্ছি। কেউ যখন চিকিৎসা নিতে আসে, তখন যদি তাঁকে সেবার মাধ্যম সুস্থ করে তোলা যায় সেটিই আমাদের কাছে সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি ও আনন্দের।আরেকজন চিকিৎসক জানান, গত বছর ঈদেও দায়িত্ব পালন করতে হয়েছে। এবারও মা-বা ও স্ত্রী-সন্তানদের রেখে হাসপাতালে সেবা দিয়ে যাচ্ছি। এরপরও মানুষ যখন সুস্থ হয়ে আপনজনদের কাছে ফিরে যায় এর চেয়ে বেশি আনন্দ আর কিছুই হতে পারে না।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শুধু মহাখালীর এই হাসপাতাল নয়, রাজধানীর ১৬টি কোভিড হাসপাতালেই অন্য দিনের মতোই আজ রোগীদের চাপ।স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, দেশের আট জেলায় সেন্ট্রাল অক্সিজেনের পাশাপাশি ৩৫ জেলায় নেই আইসিইউ সুবিধা। বর্তমানে কোভিড রোগীদের ৯০ শতাংশরই অক্সিজেন সহায়তার প্রয়োজন হচ্ছে।
করোনাভাইরাস,হাসপাতাল,ঈদুল আজহা
মায়ের ফেরা নিয়ে শঙ্কায় মেহেদি।
national
https://www.bd-pratidin.com/entertainment/2022/01/17/731875
সিদ্ধার্থের সঙ্গে প্রেমের গুঞ্জন, আগুনে ঘি ঢাললেন কিয়ারা
বলিউড অভিনেতা সিদ্ধার্থ মালহোত্রার ৩৭তম জন্মদিন ছিল রবিবার (১৬ জানুয়ারী)। প্রতিবছরের মতো এ বছর সিদ্ধার্থের জন্মদিনে তাকে শুভেচ্ছা জানান তার সহকর্মী থেকে অনুরাগীরা। তবে সকলের চোখ ছিল একজনের দিকে। তিনি হলেন কিয়ারা আদভানি। বেশ অনেকদিন ধরেই তাদের সম্পর্কের গুঞ্জন নিয়ে সরগরম বিটাউন। কিন্তু কিছুতেই এই বিষয়ে মুখ খুলছেন না তারা। তবে সিদ্ধার্থের জন্মদিনে সেই গুঞ্জনে যেন ঘি ঢাললেন কিয়ারা। 'শেরশাহ' ছবিতে সিদ্ধার্থের বিপরীতে জুটিতে দেখা গিয়েছিল কিয়ারাকে। তাদের অনস্ক্রিন জুটি বেশ পছন্দ করেছিল দর্শক। সিনেমার প্রচারের পরও বেশ কয়েকবার একসঙ্গে পাপারাৎজিদের ক্যামেরাবন্দি হন তারা। প্রেম করছেন এই গুঞ্জন অনেকদিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল। তবে সিদ্ধার্থের জন্মদিনে সেই গুঞ্জনেই সিলমোহর দিলেন কিয়ারা। এই নায়িকা সিদ্ধার্থকে লিখেছেন, 'সবচেয়ে কাছের মানুষকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা'। তার উত্তরে সিদ্ধার্থ লিখেছেন,'ধন্যবাদ কি'। বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ
সিদ্ধার্থে, প্রেমের গুঞ্জন, আগুন, কিয়ারা
সিদ্ধার্থ ও কিয়ারা।
entertainment
https://www.prothomalo.com/bangladesh/মঞ্চ-থেকে-নেমে-দুই-মুক্তিযোদ্ধার-হাতে-স্বাধীনতা-পুরস্কার-দিলেন-প্রধানমন্ত্রী
মঞ্চ থেকে নেমে দুই মুক্তিযোদ্ধার হাতে স্বাধীনতা পুরস্কার দিলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৯ বিশিষ্ট ব্যক্তি ও ২টি প্রতিষ্ঠানের হাতে দেশের সর্বোচ্চ জাতীয় বেসামরিক সম্মাননা 'স্বাধীনতা পুরস্কার-২০২২' তুলে দিয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার তাঁর তেজগাঁওয়ের কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে সশরীরে উপস্থিত থেকে প্রধানমন্ত্রী এ পুরস্কার বিতরণ করেন। শেখ হাসিনা মঞ্চ থেকে নেমে এসে দুই মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুদ্দীন আহমেদ ও আব্দুল জলিলের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। এ ছাড়া স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদানের জন্য এবার বীর মুক্তিযোদ্ধা ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী (মরণোত্তর), শহীদ কর্নেল খন্দকার নাজমুল হুদা (বীর বিক্রম) ছাড়াও মোহাম্মদ ছহিউদ্দিন বিশ্বাস ও সিরাজুল হক (মরণোত্তর) 'স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ' ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পেয়েছেন। 'চিকিৎসাবিদ্যায়' পুরস্কার পেয়েছেন অধ্যাপক কনক কান্তি বড়ুয়া ও অধ্যাপক মো. কামরুল ইসলাম এবং 'স্থাপত্যে' ক্যাটাগরিতে প্রয়াত স্থপতি সৈয়দ মইনুল হোসেন স্বাধীনতা পুরস্কার পেয়েছেন। এ ছাড়া 'মুজিব বর্ষে' বাংলাদেশকে শতভাগ বিদ্যুতায়নে সাফল্যের জন্য বিদ্যুৎ বিভাগকে এবং বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউটকে 'গবেষণা ও প্রশিক্ষণ' বিভাগে স্বাধীনতা পুরস্কার প্রদান করা হয়। প্রত্যেক পুরস্কারপ্রাপ্তকে একটি স্বর্ণপদক, একটি সার্টিফিকেট এবং একটি সম্মানী চেক প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক উপস্থিত ছিলেন। মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন এবং 'স্বাধীনতা পুরস্কার পদক-২০২২' বিজয়ীদের সংক্ষিপ্ত জীবনী পড়ে শোনানো হয়।অনুষ্ঠানে পুরস্কার বিজয়ীদের পক্ষে অধ্যাপক কনক কান্তি বড়ুয়া নিজস্ব অনুভূতি ব্যক্ত করে বক্তৃতা করেন। ১৫ মার্চ জাতীয় পর্যায়ে গৌরবময় ও অসাধারণ অবদানের জন্য ১০ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি ও একটি প্রতিষ্ঠানের নাম 'স্বাধীনতা পুরস্কার-২০২২'-এর জন্য চূড়ান্ত করে সরকার। পরবর্তী সময়ে সাহিত্য ক্যাটাগরিতে পুরস্কারের জন্য মনোনীত আমির হামজার নাম তুমুল বিতর্কের কারণে বাদ দেওয়া হয়। বাংলাদেশকে শতভাগ বিদ্যুতের আওতায় আনতে এবং দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে সহায়তা করার জন্য গতকাল বুধবার 'স্বাধীনতা পুরস্কার-২০২২'-এর জন্য বিদ্যুৎ বিভাগের নাম মনোনীত করা হয়। ১৯৭৭ সাল থেকে প্রতিবছর স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে এই পুরস্কার দিয়ে আসছে সরকার।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা,সরকার,স্বাধীনতা পুরস্কার,পুরস্কার
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৯ বিশিষ্ট ব্যক্তি ও ২টি প্রতিষ্ঠানের হাতে দেশের সর্বোচ্চ জাতীয় বেসামরিক সম্মাননা 'স্বাধীনতা পুরস্কার-২০২২' তুলে দিয়েছেন
national
https://www.ajkerpatrika.com/110609/%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%8F%E0%A6%A8%E0%A6%AA%E0%A6%BF-%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%9C%E0%A7%9F-%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%9B%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A7%87-%E0%A6%86.%E0%A6%B2%E0%A7%80%E0%A6%97-%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%A4%E0%A6%BE-%C2%A0
বিএনপি নেতার বিজয় মিছিলে আ.লীগ নেতা
চতুর্থ দফার ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে গত রোববার চারঘাট উপজেলার ছয় ইউপিতে ভোট হয়েছে। এগুলোর মধ্যে নিমপাড়া ইউপিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মনিরুজ্জামানকে পরাজিত করে জয় পেয়েছেন বিএনপি নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী মিজানুর রহমান। নৌকার প্রার্থী পরাজয়ের ব্যাপারে উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতারা ওই ইউনিয়নের বাসিন্দা জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সাইফুল ইসলাম দুলাল ও যুবলীগের নেতা সুজন আলীকে দায়ী করেছেন।এরই মধ্যে গতকাল সোমবার নিমপাড়া ইউনিয়নে বিজয় মিছিল করেন বিএনপি নেতা মিজানুর রহমান। ওই মিছিলে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সাইফুল ইসলাম দুলাল ও তাঁর ছেলে খলিল হোসেন। যা নিয়ে উপজেলাজুড়ে নেতা-কর্মীদের ভেতর ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। জেলার সিনিয়র একজন নেতার এমন আচরণে উপজেলাজুড়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। অনেকে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে বিষোদ্গার করছেন।চারঘাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফকরুল ইসলাম বলেন, 'নিমপাড়ায় আওয়ামী লীগের পরাজয়ের প্রধান কারণ সিনিয়র নেতা সাইফুল ইসলাম দুলাল ও যুবলীগের নেতা সুজন আলীর নৌকার বিরোধিতা। বিএনপি নেতা জয়লাভের পর সাইফুল ইসলাম ও তাঁর ছেলে বিজয় মিছিল করেছেন। আমাদের জন্য এর চেয়ে লজ্জাজনক আর কিছু হতে পারে না।'উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন বলেন, 'নৌকা পরাজিত হওয়ায় আওয়ামী লীগ নেতার বিজয় উল্লাস দেখা আমার রাজনৈতিক জীবনের সবচেয়ে বেদনাদায়ক মুহূর্ত। আমরা বিষয়টি জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে জানিয়েছি। আশা করছি তাঁর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।'তবে সব অভিযোগ অস্বীকার করে জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সাইফুল ইসলাম দুলাল বলেন, 'নৌকার প্রার্থী মনিরুজ্জামান নির্বাচনের ব্যাপারে আমার সঙ্গে একটুও সমন্বয় করেননি। তিনি জয়ের ব্যাপারে অধিক আশাবাদী ছিলেন। এ জন্য পরাজিত হয়েছেন। এখানে আমার দোষ নেই। আর বিএনপি নেতার বিজয় মিছিলে আমি ও আমার ছেলে উপস্থিত ছিলাম না। বিএনপি নেতার সঙ্গে যে ছবিটা দেখানো হচ্ছে সেটা ভোটের পর তারা আমার বাড়ির সামনে এলে তখন কিছু মানুষের অনুরোধে তোলা।'
আওয়ামী লীগ,বিএনপি,নির্বাচন,চারঘাট,ইউপি,উপজেলা
বিএনপি নেতার বিজয় মিছিলে জেলা আ. লীগের সহসভাপতি সাইফুল ইসলাম দুলাল।
national
https://www.prothomalo.com/opinion/column/করোনাকালে-নিয়তিবাদ-আমাদের-কী-শেখায়
করোনাকালে নিয়তিবাদ আমাদের কী শেখায়?
মহামারির সঙ্গে নিয়তি কিংবা অদৃষ্টের ওপর নির্ভর করার প্রবণতা বিশ্বজুড়ে অনেক আগে থেকেই লক্ষণীয়। সাধারণ অর্থে মানুষ যখন তার জীবনের কোনো ঘটনাকে এমন কোনো বিষয় দ্বারা পরিচালিত হতে দেখে, যেখানে তার কোনো নিয়ন্ত্রণ থাকে না, বিশেষত সেই অবস্থায় ব্যক্তি যখন বৃহত্তর শক্তির ওপর আস্থা রাখে, তাকে অদৃষ্টবাদ বা নিয়তিবাদ বলা হয়। প্রাচ্যের সমাজব্যবস্থার সঙ্গে মধ্যযুগের ইউরোপের বিভিন্ন সমাজেও মহামারির সময়ে মানুষের মধ্যে অদৃষ্টের ওপর বিশ্বাস করার ব্যাপক প্রবণতা ছিল। সে সময়ে মহামারিকে বিভিন্নভাবে ব্যাখ্যা এবং বিশ্লেষণ করা হতো। এর মধ্যে একটি অন্যতম ব্যাখ্যা ছিল, মহামারিকে কৃতকর্মের শাস্তি হিসেবে দেখা। পাশাপাশি যারা এই মহামারির শিকার হতো, তাদের দেখা হতো সমাজের ঘৃণিত বা নিকৃষ্ট মানুষ হিসেবে। এ ধরনের আচরণ নানাবিধ সংক্রামক ব্যাধির ক্ষেত্রে অধিক হারে দেখা যেত। এ ক্ষেত্রে আমরা প্লেগ, স্প্যানিশ ফ্লু কিংবা আমাদের এই অঞ্চলের কলেরা রোগের কথা উল্লেখ করতে পারি। যেসব সংক্রামক ব্যাধির দীর্ঘ সময় ধরে কোনো চিকিৎসাব্যবস্থা ছিল না, সেসব ক্ষেত্রেই মানুষের মধ্যে অদৃষ্টের বা ভাগ্যের ওপর অধিক হারে নির্ভর করার প্রবণতা ছিল। মানুষের এই ধরনের অদৃষ্টবাদী ধারণা ক্রমাগত চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে শুরু করে বিশ্বজুড়ে জ্ঞান-বিজ্ঞানের নতুন নতুন প্রভাব ছড়িয়ে পড়ার মাধ্যমে। বিশেষ করে যখন ইউরোপীয় রেনেসাঁ এবং শিল্পবিপ্লবের পরবর্তীকালে মানুষের মধ্যে বৈজ্ঞানিক ধারণার প্রভাব ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে, তখন থেকে মানুষের মধ্যে অদৃষ্টবাদী চিন্তার বাইরেও মহামারিকালে প্রগতিশীল ও আশাবাদী ধ্যানধারণার প্রভাব বৃদ্ধি পেতে থাকে। এ প্রক্রিয়ায় বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যার মাধ্যমে ব্যক্তি তার স্বাস্থ্যগত অবস্থা এবং মহামারির মতো বিষয়কে একটি যৌক্তিকতার মধ্য দিয়ে বিশ্লেষণ করতে শুরু করে। তবে অদৃষ্টবাদী ধারার এমন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হওয়া শুরু হলেও সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের মধ্যে সেই চিন্তাভাবনা পৌঁছতে অনেক বেগ পেতে হয়। কেননা, বিংশ শতকের শুরুর দিকে কলেরা বা স্প্যানিশ ফ্লুর মতো নানাবিধ সংক্রামক রোগের যে বিস্তার ঘটে, তার বিপরীতে মানুষের মধ্যে অদৃষ্টবাদী ধারার প্রচলন বেশ প্রকটভাবে রয়ে যায়। এর অন্যতম একটি প্রধান কারণ ছিল সংক্রামক ব্যাধির নিরাময়ে বৈজ্ঞানিক ব্যবস্থার অপারগতা। এর সঙ্গে আরও একটি বিষয় যুক্ত, যা সাম্প্রতিক করোনাকালেও দেখা যায়। তা হলো সংক্রামক ব্যাধির সঙ্গে মানুষের মৃত্যুর আশঙ্কা যখন অধিকতর, সে ক্ষেত্রে মানুষের মধ্যে একধরনের নৈরাশ্যবাদী ধ্যানধারণা প্রবলভাবে বিস্তার করতে থাকে। এর ফলে অনেক মানুষই নৈরাশ্যবাদ দ্বারা প্রবলভাবে প্রভাবিত হয়। করোনাকালে আমাদের সমাজেও অনেকের মধ্যে এ ধরনের নিয়তি কিংবা অদৃষ্টের ওপর অতিমাত্রায় বিশ্বাসী হওয়ার প্রবণতা দেখতে পাই, যার বহিঃপ্রকাশ আমরা সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখে চলা কিংবা মাস্ক ব্যবহারের অনীহার মাধ্যমে। এখানে দুটি বিষয় গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে হয়: প্রথমত, আমাদের দেশের অনেকের মধ্যেই করোনাকালের শুরুতে একটি প্রবল ধারণা ছিল যে আমাদের মতো সমাজ করোনা দ্বারা সংক্রমিত হবে না। দ্বিতীয়ত, যখন কিনা করোনা আমাদের দেশে এসেই গেল, তখন দীর্ঘ সময় ঘরবন্দী মানুষ তার জীবন ও জীবিকা নিয়ে অধিকতর চিন্তিত হতে শুরু করে। যার ফলে আমরা দেখতে পাই মানুষের অবাধ চলাচলের মধ্যে। এখানে যে কেবল জীবিকার তাগিদেই মানুষ বাইরে বের হচ্ছে, বিষয়টি কিন্তু সব ক্ষেত্রে এমন নয়। অনেকেই আর ঘরবন্দী জীবন যাপন করতে চাইছেন না, বরং তারা তাদের পূর্ববর্তী স্বাভাবিক জীবনে ফেরত আসার জন্য মরিয়া হয়ে পড়ছেন। আর তাই অনেককেই বলতে শোনা যায়, 'যা হওয়ার হবে, আর এভাবে জীবন যাপন করা সম্ভব না'। এখানে স্পষ্টতই মানুষের অদৃষ্টবাদের ওপরে আস্থা রাখার বিষয়টি প্রকাশিত হচ্ছে। আর তাই অনেকে সবকিছুর নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি পুরোপুরি স্রষ্টার হাতে ন্যস্ত করে একটু নিশ্চিন্ত থাকতে চান, অন্তত এই করোনাকালে। এমন দৃষ্টিভঙ্গি ও আচরণ, অর্থাৎ অদৃষ্টের ওপর ভরসা করার বিষয়টির সঙ্গে কেউ কেউ করোনা মোকাবিলার মানসিক শক্তি জোগানোর বিষয়টিও নিয়ে আসেন। এ প্রসঙ্গে ওয়াশিংটন পোস্টে প্রকাশিত লারা ফ্রিদফেল্ড নামের একজন লেখক উল্লেখ করেন, করোনাকালে অদৃষ্টবাদ আদতে আমাদের আরও সাহস জোগাতে পারে। তিনি তাঁর লেখার উপসংহার টানেন এভাবে, যদিও জনস্বাস্থ্য মোকাবিলায় অদৃষ্টবাদ কোনো পদ্ধতি হতে পারে না, কিন্তু যখন আমরা আধুনিক বিজ্ঞান ও সঙ্গে সরকারি ব্যবস্থাপনার সর্বোচ্চ সীমাবদ্ধতা দেখি, তখন অদৃষ্টের ওপর ভরসা করার মধ্য দিয়ে আমরা কিছুটা হলেও শক্তি সঞ্চয় করতে পারি। এর মাধ্যমে মানুষ কিছুটা হলেও নিজেদের শান্ত রাখতে পারবে, যা পরবর্তী কর্মপন্থা ঠিক করতে সাহায্য করতে পারে। সাম্প্রতিক করোনাকালে স্বাস্থ্যব্যবস্থার ওপর তীব্র অনাস্থার বিষয়টিও অনেককে এই ধারায় বিশ্বাসী হতে বাধ্য করে। এ-বিষয়ক যুক্তরাষ্ট্রের প্রেক্ষাপটে একটি গবেষণায় আফ্রিকান-আমেরিকান জনগোষ্ঠীর মধ্যে দেখা যায় যে চিকিৎসাবিষয়ক বর্ণবাদী আচরণের শিকার হওয়ার কারণে অনেকে আরও বেশি অদৃষ্টবাদী হয়ে পড়েন। অর্থাৎ যখন কিনা সমাজের স্বাস্থ্যব্যবস্থা ভেঙে পড়ার উপক্রম হয় কিংবা ভরসার জায়গা কমে যায়, তখন মানুষ আরও বেশি অদৃষ্টবাদী হয়ে উঠতে পারে। একই ধরনের প্রবণতা আমাদের সমাজে অনেকের মধ্যে দেখতে পাই। আবার যদি আমাদের গ্রামীণ সমাজব্যবস্থা কিংবা লোকসংস্কৃতির কিছু কিছু ধারার দিকে তাকাই, তাহলে দেখতে পাব যে অদৃষ্টের ওপর নির্ভর করা আমাদের এই অঞ্চলের মানুষের দার্শনিক চিন্তার আদিরূপ এর সঙ্গে নানাভাবে যুক্ত। যেমন লোকসংগীতের অনেক গানের কথায় অদৃষ্টের ওপর ভরসা করার প্রতি জোর দেওয়া হয়। আবার আমাদের সমাজের একটি বহুল প্রচলিত কথা হলো 'বিধির বিধান না যায় খণ্ডন, ললাটলিখন না যায় পড়া'-এটা পরিপূর্ণভাবে অদৃষ্টের ওপর নির্ভরশীলতার কথা বলে। এ ধরনের অসংখ্য উপমা আমরা নিয়ে আসতে পারি, যা অনেককে অদৃষ্টবাদী হতে উৎসাহিত করে। করোনাকালে সেই ভাবনা আরও বৃদ্ধি পেলে তাতে অবাক হওয়ার মতো কিছু নেই। আবার এ ধরনের আচরণ কেবল আমাদের এখানেই দেখা যাচ্ছে, সেটাও বলা যাবে না, কেননা ইউরোপসহ পশ্চিমা অনেক দেশেই করোনাকালে সামাজিক দূরত্ব না মেনে চলার প্রকোপ লক্ষ করা যায়। স্বাভাবিক জীবনযাপনের জন্য অনেককে এমনকি আন্দোলনে নামতেও দেখা গেছে, যার উদাহরণ অনেক। করোনা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে পরিচালিত একটি গবেষণায় দেখা যায়, যেহেতু করোনার সঙ্গে মৃত্যুর বিষয়টি অন্যান্য রোগের তুলনায় অনেক বেশি সম্পর্কিত, তাই অনেকের মধ্যেই প্রতিরোধমূলক আচরণ যেমন সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা কিংবা নিয়মিত হাত ধোয়ার বিষয়গুলোর প্রতি তাদের উদাসীনতা প্রকটভাবে দৃশ্যমান। যদিও অনেক মানুষ এখন অনেকটাই স্বাভাবিক জীবনযাপনের দিকে ধাবিত হচ্ছে, যাদের অনেকেই হয়তো অনেকটা অসচেতনভাবেই ক্রমাগত অদৃষ্টবাদী হয়ে উঠছেন। কিন্তু সামগ্রিকভাবে যদি আমরা নিজের স্বাস্থ্য ও তার নিরাপত্তার দিকে নজর না দিয়ে অদৃষ্টের ওপর অতিমাত্রায় ভরসা করি, তাহলে সংক্রমণ আরও আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেতে পারে। সে বিচারে ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য নিরাপত্তার প্রতি জোর দিয়েই নিজ নিজ কাজ চালানোর একটি লম্বা অভ্যাস আমাদের গড়ে তুলতে হবে। কেননা, আমরা এখনো জানি না করোনা-পরবর্তী বিশ্বের জীবনপ্রণালি কেমন হবে। বুলবুল সিদ্দিকী: সহযোগী অধ্যাপক ও গবেষক সেন্টার ফর পিস স্টাডিস, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়।
করোনা বিশ্ব,করোনাভাইরাস
ব্যাধির চিকিৎসাব্যবস্থা না থাকায় মহামারিকালে মানুষ নিয়তিবাদী হয়ে পড়ে। করোনার সময়ে বাজারে মানুষের ভিড়। ছবি: প্রথম আলো
opinion
https://www.dailynayadiganta.com/dhaka/621232/শিমুলিয়া-বাংলাবাজার-নৌপথে-১৩-দিন-পর-ফের-ফেরি-চলাচল-শুরু
শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌপথে ১৩ দিন পর ফের ফেরি চলাচল শুরু
দীর্ঘ ১৩ দিন পর আবারো শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌপথে ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে। পরীক্ষামূলক ফেরি সফলভাবে ঘুরে আসার পর সোমবার দুপুর থেকে চালু করা হয় দীর্ঘ প্রতীক্ষিত ফেরি সার্ভিস। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর হালকা যানবাহন নিয়ে দিনের বেলায় মাঝারি আকারের ফেরি সীমিত আকারে চলাচলের ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি)। ফেরিগুলো পদ্মা সেতু অতিক্রম করে স্বাচ্ছন্দ্যে চলাচল করছে। এর আগে স্রোতের গতিবৃদ্ধির কারণ দেখিয়ে গত ১৮ আগস্ট থেকে ফেরি বন্ধ রাখে বিআইডব্লিউটিসি। পরে গত ৪ অক্টোবর সীমিত চালু হলেও সাত দিনের মাথায় গত ১১ অক্টোবর আবার ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। এরপর ১৪ ও ২৬ অক্টোবর পরীক্ষামূলকভাবে ফেরি চলাচল সফল হলেও ফেরি বন্ধ রাখে বিআইডব্লিউটিসি। দীর্ঘদিন পরে ফেরি চালু হওয়ায় খুশি যাত্রীরা। বিআইডব্লিউটিসির পরিচালক (বাণিজ্য) এস এম আশিকুজ্জামান জানিয়েছে, হালকা যানবাহন নিয়ে দিনের বেলায় মাঝারী ফেরি সীমিত আকারে চলাচল করবে। এর আগে ১৫ থেকে ২০টি ফেরি চলাচল করলেও এখন চারটি ফেরিতে যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। এছাড়া শিমুলিয়া থেকে ৮৭ লঞ্চ ও ১০১ স্পিডবোটে যাত্রীরা পাড়ি দিচ্ছে। সূত্র : ইউএনবি
ফেরি,নৌপথ
শিমুলিয়া
national
https://www.ajkerpatrika.com/17311/%E2%80%98%E0%A6%86%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A7%8B%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E2%80%99-%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%9F%E0%A6%BF-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A7%9F-%E0%A6%9B%E0%A6%BF%E0%A6%B2-%E0%A6%AC%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A6%AC%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A7%81%E0%A6%B0
'আমার সোনার বাংলা' গানটি প্রিয় ছিল বঙ্গবন্ধুর
কীভাবে বঙ্গবন্ধু 'আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি' গানটি জাতীয় সংগীত হিসেবে ভালোবাসলেন, সেটা বলা শক্ত। কিন্তু রবীন্দ্রনাথের বাউল অঙ্গের এই গান থেকেই তো 'সোনার বাংলা'র স্বপ্নে বিভোর হয়েছেন তিনি। এবং একসময় বলেছেন, 'সোনার বাংলা গড়তে হলে সোনার মানুষ চাই।' সত্তরের নির্বাচনে পোস্টার হয়েছিল, 'সোনার বাংলা শ্মশান কেন?'১৯৫৬ সালে বঙ্গবন্ধু ছিলেন পূর্ব পাকিস্তানের প্রাদেশিক মন্ত্রী। সে সময় হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ছিলেনপাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। পশ্চিম পাকিস্তানের জনপ্রতিনিধিরা এসেছিলেন পূর্ব পাকিস্তানে। কার্জন হলে তাঁদের সম্মানে ছিল এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। শেখ মুজিবুর রহমানের ইচ্ছা, 'আমার সোনার বাংলা' গানটি যেন সেদিন গাওয়া হয়। সে অনুষ্ঠানে রবীন্দ্রসংগীত পরিবেশন করার জন্য আমন্ত্রিত হয়েছিলেন সন্জীদা খাতুন। কেউ একজন সন্জীদা খাতুনের কাছে এসে জানালেন এই ইচ্ছার কথা। সন্জীদা খাতুন পাঁচ স্তবকের পুরো গানটিই সেদিন গেয়েছিলেন। তখনো তিনি জানতেন না, এই গানটি খুব ভালোবেসে ফেলেছেন বলেই সবাইকে শোনাতে চাইতেন বঙ্গবন্ধু।ষাটের দশকে সভায় ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অন্য অনেক রবীন্দ্রসংগীতের পাশাপাশি 'আমার সোনার বাংলা' বারবার গেয়েছেন জাহেদুর রহিম। সত্তর সালের গোড়ার দিকে বঙ্গবন্ধু জাহেদুর রহিমকে 'আমার সোনার বাংলা' গানটি রেকর্ড করার দায়িত্ব দেন। কলিম শরাফী তখন ছিলেন ইএমআই গ্রামোফোন কোম্পানির ঢাকার কর্ণধার। তাঁর তত্ত্বাবধানে ১৯৬৯ ও ১৯৭০ সালে প্রায় দুই শ রবীন্দ্রসংগীত রেকর্ড করা হয়। তার মধ্যে ছিল 'আমার সোনার বাংলা' গানটি। ছায়ানটের শিল্পীরা গানটিকে সম্মেলক গান হিসেবে রেকর্ড করতে এগিয়ে আসেন।১৯৭১ সালের ৩ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে সদ্যনির্বাচিত পরিষদ/সদস্যদের শপথ করান। সভা শেষে যে দুটো গান পরিবেশন করা হয়, তার একটি হলো 'ধনধান্য পুষ্পভরা', অন্যটি ছিল 'আমার সোনার বাংলা'। এম এ ওয়াজেদ মিয়া তাঁর বইয়ে লিখেছেন, 'সেদিন রাতে খেতে বসে বঙ্গবন্ধু একপর্যায়ে গম্ভীর হয়ে আমাদের উদ্দেশ্য করে বললেন, "দেশটা যদি কোনো দিন স্বাধীন হয়, তাহলে দেশের জাতীয় সংগীত হিসেবে কবিগুরুর 'আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি' গানটি গ্রহণ করো।"শেষ পর্যন্ত 'আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি' গানটি স্বাধীন দেশের জাতীয় সংগীতের মর্যাদা পেল। সংশোধনী: গতকাল রোববার আজকের পত্রিকার ঢাকা সংস্করণে একটি ছবির ক্যাপশনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মমাস ভুল ছাপা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে এটি হবে ১৭ মার্চ ১৯২০। অনিচ্ছাকৃত এ ভুলের জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত।-বি.স.
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
'আমার সোনার বাংলা' গানটি প্রিয় ছিল বঙ্গবন্ধুর
national
https://samakal.com/whole-country/article/19092308/বিশুদ্ধ-পানির-জন্য-৫০০-কোটি-টাকার-প্রকল্প-পরিকল্পনামন্ত্রী
হাওরাঞ্চলে বিশুদ্ধ পানির জন্য ৫০০ কোটি টাকার প্রকল্প: পরিকল্পনামন্ত্রী
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, 'হাওরাঞ্চলের মানুষের জন্য বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করতে ৫০০ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নিয়েছি। সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ, নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জসহ হাওরাঞ্চলের একজন মানুষও যাতে বিশুদ্ধ পানির কষ্টে না ভোগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই নির্দেশনা দিয়েছেন। শুধু পানির বিষয় নয়, এই অঞ্চলগুলোর স্যানিটেশন ব্যবস্থারও উন্নয়ন ঘটানো হবে।' শুক্রবার দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলায় নিরাপদ পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন ব্যবস্থার উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ৫০০ হতদরিদ্র পরিবারের মধ্যে নলকূপ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনামন্ত্রী এসব কথা বলেন। ৫০০ কোটি টাকা ব্যয়ে চার হাজার গভীর নলকূপ স্থাপনের প্রথম পর্যায়ে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার দরগাপাশা ও পশ্চিম বীরগাঁও ইউনিয়নে এই নলকূপ বিতরণ করা হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সফিউল্লাহর সভাপতিত্বে ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রভাষক মো. নুর হোসেনের পরিচালনায় স্বাগত বক্তব্য দেন দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. আব্দুর রব সরকার। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. ফারুক আহমদ, সুনামগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. মোখলেছুর রহমান প্রমুখ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজি আব্দুল হেকিম, সাধারণ সম্পাদক মো. আতাউর রহমান, জগন্নাথপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রিজু, জেলা পরিষদ সদস্য মো. জহিরুল ইসলাম, উপজেলা নারী ভাইস চেয়ারম্যান দুলন রানী তালুকদার, ইউপি চেয়ারম্যান মো. মাসুদ মিয়া, মনির উদ্দিন, মিজানুর রহমান জিতু, আক্তার হোসেন, সফিকুল ইসলাম, আমিনুর রশিদ আমীন প্রমুখ।
এম এ মান্নান,পরিকল্পনামন্ত্রী,সুনামগঞ্জ
এম এ মান্নান
national
https://www.ajkerpatrika.com/109905/%E0%A6%95%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A7%8B%E0%A6%B0%E0%A6%97%E0%A6%9E%E0%A7%8D%E0%A6%9C%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A7%8B%E0%A6%B0%E0%A7%8B%E0%A6%B0-%E0%A6%86%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A6-%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A7%9C%E0%A7%87%E0%A6%9B%E0%A7%87
কিশোরগঞ্জে বোরোর আবাদ বেড়েছে
অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর কিশোরগঞ্জের হাওরের চিত্র কিছুটা ভিন্ন। এবার পানি দ্রুত নেমে গেছে। এতে খুশি বোরো চাষিরা। তারা এখন দল বেঁধে বোরার আবাদে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এ বছর জেলার হাওরাঞ্চলে ১ লাখ ২ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে। বড় ধরনের প্রাকৃতিক কোনো দুর্যোগ না হলে চলতি মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে। এমনটি মনে করেছেন জেলার কৃষি কর্মকর্তারা।গত বছর এক লাখ এক হাজার হেক্টর জমিতে বোরোর আবাদ হয়েছিল। চলতি বছর এক হাজার ৫০০ হেক্টর বেশি জমিতে বোরোর আবাদ হচ্ছে।সরেজমিনে দেখা গেছে, শীত উপেক্ষা করেই চলছে বীজতলা থেকে চারা তোলার কাজ। কেউ কেউ ব্যস্ত জমি তৈরি ও চারা রোপণ নিয়ে। চাষাবাদে পুরুষদের পাশাপাশি নারীদেরও মাঠে কাজ করতে দেখা গেছে। হাওরে ইতিমধ্যে ১০ হাজার হেক্টর জমিতে বোরোর আবাদ করা হয়েছে।জেলার হাওরাঞ্চলের মিঠামইন উপজেলার কৃষক তমিজ উদ্দিন জানান, চলতি মৌসুমে কীটনাশক ও ডিজেলের দাম বেশি থাকায় উৎপাদন খরচ বেড়ে যাবে।তমিজ উদ্দিন বলেন, 'যে ডিজেল ৬৫ টাকা লিটার ছিল, তা এখন ৮৫ টাকায় কিনতে হয়। ফসল ওঠার পর ধানের দাম যদি বেশি না পাই তাহলে লোকসান হবে।'কিশোরগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ মো. ছাইফুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, 'বর্তমান বাজারে ধানের দাম বেশি থাকায় আগ্রহ নিয়ে বাড়তি জমিতে বোরো আবাদ করছেন কৃষকেরা। এ বাড়তি জমি হাওরেরই অংশ। গত বছর ধানের দাম কম থাকায় ওই জমিতে আবাদ করেননি কৃষকেরা।
কিশোরগঞ্জ,ঢাকা বিভাগ,কৃষি,কৃষক,জমি,হাওর,মিঠামইন,ছাপা সংস্করণ,সিলেট সংস্করণ,কিশোরগঞ্জ নরসিংদী ব্রাহ্মণবাড়িয়া
কিশোরগঞ্জের হাওর এলাকায় জমিতে বোরো ধানের চারা রোপণ করছেন কৃষকেরা।
national
https://www.ajkerpatrika.com/181342/%E0%A6%8F%E0%A6%87-%E0%A6%88%E0%A6%A6%E0%A7%87-%E0%A6%AA%E0%A7%8B%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%86%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%80-%E0%A6%88%E0%A6%A6%E0%A7%87-%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF
এই ঈদে পোস্টার আগামী ঈদে মুক্তি
দুই বাংলার জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা নুসরাত ফারিয়া। গত মাসে কলকাতায় যৌথ প্রযোজনার সিনেমা 'রকস্টার'-এর শুটিং শেষ করেছেন তিনি। পয়লা বৈশাখে সিনেমাটির ফার্স্ট লুক প্রকাশ হয়েছে। এই ঈদে প্রকাশ হবে টিজার। কোরবানির ঈদে দুই বাংলায় মুক্তি পাবে সিনেমা।পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে কলকাতায় গিয়েছিলেন নুসরাত ফারিয়া। বেশ কয়েকটি স্টেজ শোতে অংশ নিয়েছেন। এর পরই 'রকস্টার' সিনেমার পরিচালক অংশুমান প্রত্যুষের সঙ্গে দেখা করেন। ফারিয়াকে পরিচালক জানিয়েছেন, সিনেমাটি কোরবানির ঈদে একসঙ্গে দুই বাংলায় মুক্তি পাবে। নুসরাত ফারিয়া বলেন, 'আমি খুবই খুশি। অনেক দিন পর দুই বাংলায় আমার সিনেমা আসছে। এ সিনেমার গল্পটা দারুণ! প্রথমবার যশের সঙ্গে জুটি হয়েছি। এর আগে জিৎ ও অঙ্কুশের সঙ্গে অভিনয় করা সিনেমাগুলো দর্শক পছন্দ করেছিল। আশা করছি, এবারও পছন্দ করবেন। সিনেমার নাম দেখে অনেকেই মনে করছেন কোনো রক তারকার গল্প। আসলে তা নয়। অনেক বড় একটা টুইস্ট অপেক্ষা করছে সবার জন্য।'পরিচালক প্রসঙ্গে নায়িকার ভাষ্য, 'এই সিনেমার পরিচালক অংশুমান প্রত্যুষের সঙ্গে আমার বোঝাপড়াটা চমৎকার। তিনি এর আগে আমার "বস-২", "বাদশা", "ধ্যাততেরিকি" সিনেমাগুলোর সহকারী পরিচালক ছিলেন। তাই তাঁর সঙ্গে কাজ করা আমার জন্য সহজ হয়েছে। একে অন্যের চাওয়া সহজে বুঝতে পেরেছি। পর্দায় দর্শক তার প্রতিফলন দেখতে পাবেন।'রোজার ঈদের দিন 'রকস্টার'-এর অফিশিয়াল পোস্টার প্রকাশ পাবে। তার পরই প্রকাশ পাবে টিজার। এ ছাড়া মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে নুসরাত ফারিয়া অভিনীত 'পাতালঘর', 'পর্দার আড়ালে', 'মুজিব: একটি জাতির রূপকার', 'বিবাহ অভিযান ২' ও 'ভয়' সিনেমাগুলো।
বিনোদন,সিনেমা,নুসরাত ফারিয়া,ছাপা সংস্করণ,আজকের বিনোদন
নুসরাত ফারিয়া। ইনস্টাগ্রাম
national
https://www.bhorerkagoj.com/2022/02/06/%e0%a6%a4%e0%a6%a5%e0%a7%8d%e0%a6%af-%e0%a6%9d%e0%a7%81%e0%a6%81%e0%a6%95%e0%a6%bf%e0%a6%a4%e0%a7%87-%e0%a6%b2%e0%a6%be%e0%a6%96%e0%a7%8b-%e0%a6%ac%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%ac%e0%a6%b9%e0%a6%be/
তথ্য ঝুঁকিতে লাখো ব্যবহারকারী
মোবাইল অ্যাপে গুরুতর নিরাপত্তা ত্রুটির কারণে লাখ লাখ ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত ও সংবেদনশীল তথ্য ফাঁস হয়ে যাচ্ছে। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে গবেষক মিকাইল টুনচ দেখতে পান অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস প্লাটফর্মের বেশকিছু অ্যাপে পরিচয় যাচাইকরণ কার্যক্রমে ত্রুটি রয়েছে। আরও স্পষ্টভাবে বলতে গেলে এসব অ্যাপ পরিষেবা প্রদানে অনফিডো নির্ধারিত নীতিমালা অনুসরণ করেনি। অ্যাপগুলোয় অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রামিং ইন্টারফেস (এপিআই) পেছনে রাখার পরিবর্তে সামনের দিকে উন্মুক্ত অবস্থায় রাখা হয়েছে, যার পরিপ্রেক্ষিতে ব্যবহারকারীদের বায়োমেট্রিক তথ্য ফাঁস হয়েছে। মিকাইল টুনচের আগে কেউ বিষয়টি শনাক্ত করতে পারলে এরই মধ্যে লাখ লাখ ব্যবহারকারীর আইডি কার্ডের তথ্য, পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স, ই-মেইল, পুরো নাম, বাসস্থানের ঠিকানাসহ আরও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতিয়ে নিয়েছে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। এছাড়া হ্যাকাররা অনেক শনাক্তকরণ প্রক্রিয়ায় ব্যবহৃত সেলফি ভিডিও হাতিয়ে নিয়ে থাকতে পারে। তবে মিকাইলের আগে অন্য কেউ উন্মুক্ত তথ্যভাণ্ডারের সন্ধান পায়নি। সে হিসাবে ব্যবহারকারীদের তথ্য এখনো সুরক্ষিত আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে সেটি আসলেই সত্য কিনা, সেটি যাচাই এখনও বাকি রয়েছে। অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা হিসেবে টোকেনগুলোয় মেয়াদ শেষের নির্ধারিত সময় থাকার কথা। তবে যেসব টোকেনের সন্ধান পাওয়া গেছে সেগুলোর কোনো মেয়াদকাল না থাকায় ব্যবহারকারীদের তথ্য বড় হুমকির মুখে রয়েছে। তথ্য ফাঁসের বিষয়টি প্রথম সামনে নিয়ে আসে সাইবার নিউজ। তারা জানায়, যেসব অ্যাপের মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের তথ্য ফাঁস হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে ট্রেডিং প্লাটফর্ম এফএক্সপ্রো ডিরেক্ট অ্যাপ, রেন্ট-এ কার পরিষেবা অ্যাপ ইউরোপকার, সেভিংস অ্যাপ চিপ, শপিং অ্যাপ হুলাহ, ক্রিপ্টোকারেন্সি অ্যাপ মোড ও কার শেয়ারিং পরিষেবা অ্যাপ গ্রিনহুইলস রয়েছে। অ্যাপের সম্মুখে এপিআই টোকেন না রাখার বিষয়ে গ্রাহকরা নির্দেশনা অনুসরণ করেন কিনা, সে বিষয়ে অনফিডোকে জিজ্ঞাসা করেছে সাইবারনিউজ। এক বিবৃতিতে অনফিডো জানায়, একই ধরনের ডোমেইন পদ্ধতি ব্যবহার করে এমন আরও প্রতিষ্ঠান থাকায় প্রযুক্তিগতভাবে প্রাইভেট কি-এর ভুল ব্যবহার নির্ধারণ সম্ভব নয়। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে প্রাথমিক তদন্তে অনফিডো ব্যবহারকারীদের তথ্যে অনধিকার প্রবেশের কোনো প্রমাণ পায়নি বলেও জানানো হয়। যেসব অ্যাপের তালিকা ও পরিসংখ্যান দেয়া হয়েছে, সেগুলোর অধিকাংশ গুগল প্লে স্টোর-কেন্দ্রিক। অ্যাপল অ্যাপ স্টোর থেকে অ্যাপ ডাউনলোডের সংখ্যা প্রকাশ না করলেও এখানে তথ্য ফাঁসের হার দ্বিগুণ হতে পারে। যারা এসব অ্যাপ ব্যবহার করেছেন এবং হ্যাকারদের আক্রমণের আশঙ্কা করছেন তাদেরকে সন্দেহজনক মেসেজ ও লিংক ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন প্রযুক্তিবিদরা। এছাড়া শক্তিশালী পাসওয়ার্ডের পাশাপাশি দ্রুত সময়ের মধ্যে টু ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন চালুর নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে। সূত্র: টেকরাডার
তথ্য ঝুঁকি,লাখো ব্যবহারকারী
প্রতীকি
science-tech
https://samakal.com/entertainment/article/1810904/’নিয়ে-বিড়ম্বনায়-তারা
'সাব-সাবলেট' নিয়ে বিড়ম্বনায় তারা
ছোট একটি সংসার। মা, ভাই আর বোনই সে পরিবারের সদস্য। সহজ-সরল ও মিতব্যায়ী ভাইয়ের বদৌলতে সাবলেট হিসেবে এক তরুণ আশ্রয় পান সে বাড়িতে। এরপর ঘটতে থাকে একের পর এক ঘটনা, উন্মোচিত হতে শুরু করে একেকটি চরিত্র। এমনই গল্প নিয়ে তৈরি হয়েছে হাস্যরসাত্মক ওয়েব সিরিজ 'সাব-সাবলেট'। 'সাব-সাবলেট' এ প্রধান তিনটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে রয়েছেন জনপ্রিয় অভিনয়শিল্পী নিলয় আলমগীর, মারজুক রাসেল ও শাহতাজ। নিজের চিত্রনাট্যে এটি পরিচালনা করেছেন নির্মাতা সাকিব রায়হান। ওয়েব সিরিজটি নিয়ে পরিচালক বলেছেন, 'কোনো রকম ভাঁড়ামি ছাড়াই একটি হাস্যরসাত্মক ওয়েব সিরিজ তৈরি করেছি আমরা, যেটি সবাই মিলে একসঙ্গে উপভোগ করা যাবে। হাসি-ঠাট্টার মধ্য দিয়ে জীবনের কঠিন বাস্তবতাকে তুলে ধরা হয়েছে। আমার বিশ্বাস, আমাদের গল্পটি দর্শকহৃদয় ছুঁয়ে যাবে।' দেশীয় কনটেন্টের জনপ্রিয় স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম এয়ারটেলস্ক্রিনে আজ থেকে উপভোগ করা যাবে 'সাব-সাবলেট'। নিলয় আলমগীর, মারজুক রাসেল ও শাহতাজের পাশাপাশি এতে আরও অভিনয় করেছেন রিফাত জাহান, শাহেদ শাহরিয়ার, শিল্পী সরকার অপু, কাজী উজ্জ্বল, শামীম আহমেদ, সোহান বাবু। সিরিজটি প্রযোজনা করেছে বাংলাঢোল।
সাটলেট,বিনোদন
মারজুক রাসেল, শাহতাজ ও নিলয়
entertainment
https://www.ajkerpatrika.com/176922/%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%B0-%E0%A6%93-%E0%A6%85%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%B8%E0%A6%B9-%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A6%9C%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A7%81%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A7%87-%E0%A6%85%E0%A6%AD%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A7%8B%E0%A6%97-%E0%A6%97%E0%A6%A0%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%86%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6
পরীমণির মামলায় তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ ১৮ মে
পরীমণিকে শ্লীলতাহানি ও মারধরের মামলায় উত্তরা ক্লাব লিমিটেডের সাবেক সভাপতি ও জাতীয় পার্টির নেতা নাসির ইউ মাহমুদ, তাঁর সহযোগী তুহিন সিদ্দিকী অমি ও শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন বিষয়ে আদেশের জন্য আগামী ১৮ মে দিন ধার্য করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৯-এর বিচারক মো. হেমায়েত উদ্দিন এই তারিখ ধার্য করেন।আজ অভিযোগ গঠনের জন্য দিন ধার্য ছিল। মামলার বাদী পরীমণি আদালতে হাজির ছিলেন। অন্যদিকে তিন আসামি ট্রাইব্যুনালে হাজির ছিলেন। আসামিদের পক্ষে মামলা থেকে অব্যাহতির আবেদন করা হয়।উভয় পক্ষের আইনজীবীরা শুনানি করেন। শুনানির সময় পরীমণি ট্রাইব্যুনালকে বলেন, তাঁকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছিল। হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর করা হয়েছে। একটা দম বন্ধ হওয়া পরিবেশে তাঁকে আটকে রাখা হয়েছিল। মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করা হয় তাঁকে। অথচ তদন্ত কর্মকর্তা শ্লীলতাহানি ও মারধরের প্রমাণ পেয়ে অভিযোগপত্র দিয়েছেন।আসামিপক্ষে শুনানির সময় বলা হয়, ঘটনাটি সাজানো ও ষড়যন্ত্রমূলক। আসামিদের হেয় করার জন্য এই মিথ্যা মামলা সাজানো হয়েছে।শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনাল বলেন, উভয় পক্ষের আবেদন এবং মামলার নথিপত্র পর্যালোচনা করে আগামী ১৮ মে আদেশ দেওয়া হবে।গত ৬ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মো. কামাল হোসেন ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। এতে উত্তরা ক্লাব লিমিটেডের সাবেক সভাপতি নাসির ইউ মাহমুদ ও তাঁর সহযোগী তুহিন সিদ্দিকী অমিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। প্রাথমিক তথ্য বিবরণীতে (এফআইআর) শাহ শহিদুল আলমের নাম না থাকলেও তদন্তের সময় সম্পৃক্ততা পাওয়ায় পুলিশ অভিযোগপত্রে তাঁর নাম অন্তর্ভুক্ত করে।গত ১৪ জুন রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী ও জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য নাসির, অমি এবং আরও চারজন অজ্ঞাত ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন পরীমণি। ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ আনা হয় এজাহারে।সেদিনই উত্তরা ১ নম্বর সেক্টরের একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে নাসির ও অমিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে বিমানবন্দর থানায় দায়ের করা আরও একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। অভিযোগপত্রে ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ আনা হয়নি। কিন্তু মারধর ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ আনা হয়।পরীমণি সম্পর্কিত পড়ুন:মাদক মামলা স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে পরীমণির আবেদনগুনিন বাড়ির রমিজ-রাবেয়ার বিয়েপরীমণির বিরুদ্ধে মাদক মামলা চলবেসাকিব আল হাসানের সঙ্গে বিজ্ঞাপনে আগ্রহ পরীমণিরপরীমণির মাদক মামলা তিন মাসের জন্য স্থগিত করলেন হাইকোর্ট
বাংলাদেশ,ঢাকা বিভাগ,মামলা,আদালত,পরীমণি,ঢাকা
আজ অভিযোগ গঠনের জন্য দিন পরীমণি আদালতে হাজির ছিলেন। ইন্দ্রজিৎ কুমার ঘোষ
national
https://samakal.com/international/article/200625705/ফ্লয়েড-হত্যা--পুলিশের-শক্তি-প্রয়োগে-লাগাম-পড়েছে-কয়েকটি-স্থানে
ফ্লয়েড হত্যা: পুলিশের শক্তি প্রয়োগ কমেছে কয়েকটি স্থানে
পুলিশের হেফাজতে কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েড হত্যার ঘটনায় টানা ১১ দিনের মতো স্থানীয় সময় শুক্রবারও যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে পুলিশি নিপীড়ন, বৈষম্য ও বর্ণবাদবিরোধী বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে। গত কয়েকদিনের মতোই এদিনের বিক্ষোভও ছিল শান্তিপূর্ণ। তবে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে পুলিশের শক্তি প্রয়োগের কিছু ক্ষেত্রে লাগাম টেনে দিয়েছে কয়েকটি স্থানীয় সরকার। বিক্ষোভের মধ্যেই পুলিশি নিপীড়নের কিছু ভিডিও সামনে আসার পর এমন পদক্ষেপের ঘোষণা আসে। দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিউইয়র্কে বর্ণবাদবিরোধী বিক্ষোভে স্বাস্থ্যকর্মীদের যোগ দিতে দেখা গেছে। নিউ অরল্যান্ডের মিসিসিপি নদীর তীরে বড় বিক্ষোভ হয়েছে। ক্যালিফোর্নিয়ার ভাল্লেজোতে হাঁটু গেড়ে পুলিশের গুলিতে নিহত এক তরুণের প্রতি সম্মান দেখিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। চলমান বর্ণবাদবিরোধী বিক্ষোভে অংশ নিয়ে ওই তরুণ নিহত হন। বড় ধরনের বিক্ষোভ হয়েছে আটলান্টাতে। সাউথ ক্যারোলাইনার কলাম্বিয়ায় গভর্নরের বাড়ির সামনে বড় বিক্ষোভ হয়েছে। ওয়াশিংটন ডিসিতে বৃষ্টি উপেক্ষা করে বিক্ষোভ করেছে আন্দোলনকারীরা। নিউইয়র্কের ম্যানহাটনে পুলিশের হাতে সংবাদিক নিগ্রহের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় পুলিশ একজনকে আটকও করেছে। কয়েকটি শহরে কারফিউ বহাল থাকলেও পরিস্থিতি শান্ত হওয়ায় কিছু শহর থেকে তা তুলে নেওয়া হয়েছে। শুক্রবার রাত থেকেই মিনিয়াপোলিসে কারফিউ প্রত্যাহার করা হয়। এই শহরে গত ২৫ মে ৪৬ বছর বয়সী ফ্লয়েডকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, রাস্তার ওপর ফ্লয়েডকে ফেলে আট মিনিট ৪৬ সেকেন্ড তার ঘাড়ে হাঁটু দিয়ে মাটিতে চেপে ধরে রেখেছেন এক শ্বেতাঙ্গ পুলিশ। এক পর্যায়ে অচেতন হয়ে পড়েন ফ্লয়েড। হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, শ্বাস বন্ধ হয়ে ফ্লয়েড মারা গেছেন। এই ঘটনার পর মিনিয়াপোলিসে শুরু হওয়া বর্ণবাদবিরোধী বিক্ষোভ যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে ছড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে সেই বিক্ষোভে বেসামাল হয়ে পড়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় সবগুলো শহর। আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তির গলা বা ঘাড় যাতে পুলিশ সদস্যরা লাঠি, হাত বা পা দিয়ে চেপে ধরতে না পারেন তা নিশ্চিত করতে সম্মত হয়েছে মিনিয়াপোলিস কর্তৃপক্ষ। সিয়াটলের মেয়র জেনি ডারকান বিক্ষোভকারীদের ওপর পুলিশের টিয়ার গ্যাস ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন। শুক্রবার থেকে এ নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়েছে এবং তা এক মাস বহাল থাকবে। ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গাভিন নিউসম রাজ্য পুলিশকে নতুন নির্দেশনা দিয়েছেন। তাতে বলা হয়েছে, পেছন থেকে গিয়ে কারও গলা চেপে ধরতে পারবে না পুলিশ। এতে মস্তিস্কে রক্ত সরবরাহ বন্ধ হয়ে মৃত্যু হতে পারে। একুশ শতকে এ ধরনের ঘটনা ঘটতে দেওয়া যায় না। এক ভিডিওতে দেখা গেছে, বিক্ষোভের সময় নিউইয়র্কের বাফেলোতে ৭৫ বছর বয়সী এক শ্বেতাঙ্গ বৃদ্ধকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন দুই পুলিশ কর্মকর্তা। মাথায় মারাত্মক আঘাত নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। এ ঘটনার পর ওই দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়। তবে এর প্রতিবাদে শুক্রবার বাফেলোর রায়ট পুলিশ দলের ৫৭ কর্মকর্তা পদত্যাগ করেছেন।
বর্ণবাদ,বর্ণবাদবিরোধী বিক্ষোভ,জর্জ ফ্লয়েড
পুলিশি নিপীড়নের বিরুদ্ধে শুক্রবার নিউইয়র্কে বিক্ষোভরতদের একাংশ। : দ্য গার্ডিয়ান।
international
https://www.ajkerpatrika.com/72460/%E0%A6%AD%E0%A6%BF%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A6%BE-%E0%A6%87%E0%A6%89%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%9F%E0%A6%BF-%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%9F-%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%AA
ভিস্তুলা ইউনিভার্সিটি মেরিট স্কলারশিপ
পোল্যান্ডের সর্বাধিক আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ভিস্তুলা ইউনিভার্সিটি ও ভিস্তুলা স্কুল অব হসপিটালিটি। পড়াশোনা এবং ভিস্তুলা ইউনিভার্সিটি ও ভিস্তুলা স্কুল অব হসপিটালিটির অ্যাম্বাসেডর হিসেবে কাজ করতে চায়, এমন সব বিদেশি শিক্ষার্থীকে অসামান্য আর্থিক সহায়তা বা বৃত্তি প্রদান করে পোল্যান্ডের ওয়ারশে অবস্থিত এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দুটি। আগ্রহীরা আবেদন করতে পারেন।অধ্যয়নের স্তর বা ক্ষেত্র বা ফিল্ড অব স্টাডিবৃত্তির এই কার্যক্রমে যেকোনো ব্যাচেলর বা মাস্টার্স ডিগ্রির কোর্সে আবেদন করার ও ভর্তির সুযোগ রয়েছে।বৃত্তির সংখ্যা বা নম্বর অব অ্যাওয়ার্ডস২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে ৭০টি বৃত্তি প্রদান করেছে কর্তৃপক্ষ।বৃত্তি মূল্য ও সময়কালপড়াশোনার প্রথম বছরে শতভাগ টিউশন ফি। সেই সঙ্গে কোর্স চলাকালে উচ্চ একাডেমিক ও পাঠ্যক্রমবহির্ভূত পারফরম্যান্স বা কর্মক্ষমতার শর্তে অধ্যয়নের সম্পূর্ণ সময় কভার করে ভিস্তুলা ইউনিভার্সিটি স্কলারশিপ।আবেদনের যোগ্যতা১। পোল্যান্ড বাদে অন্য কোনো দেশ তথা বিদেশি শিক্ষার্থী হতে হবে।২। ন্যূনতম ৯০ ভাগ জিপিএ আবশ্যক।৩। একাডেমিক ও পাঠ্যক্রমবহির্ভূত কার্যক্রমে অসামান্য কর্মক্ষমতার অধিকারী হওয়ার প্রমাণ দিতে হবে।৪। আইইএলটিএসে ন্যূনতম স্কোর ৬.০০ কিংবা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সমমূল্যের সার্টিফিকেট বা প্রশংসাপত্রের অধিকারী হতে হবে।পড়াশোনার ভাষা-ইংরেজিকোর্স শুরুর সময়-অক্টোবর ২০২১, মার্চ ২০২২।আবেদনের প্রক্রিয়া১। আবেদনকারীকে ভিস্তুলা ইউনিভার্সিটি স্কলারশিপ প্রোগ্রামের জন্য অনলাইনে আবেদন করতে হবে।২। রেজিস্ট্রেশন ফি পরিশোধ করতে হবে। নির্ধারিত রেজিস্ট্রেশন ফি ২০০ ইউরো বা প্রায় ১৯ হাজার ৭৭১ টাকা।এ ছাড়া বিস্তারিত জানতে পারেন প্রতিষ্ঠানটির ঠিকানায় গিয়ে।আবেদনের শেষ সময়২০ আগস্ট, ২০২১, ১৫ জানুয়ারি, ২০২২।সূত্র: বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট
উচ্চশিক্ষা,স্কলারশিপ,ছাপা সংস্করণ,সহায়িকা,পোল্যান্ড
ভিস্তুলা ইউনিভার্সিটি। ফ্রীপিক
national
https://samakal.com/bangladesh/article/1811186/আলোচনা-আরেকদিকে-আন্দোলন-বোধগম্য-নয়-প্রধানমন্ত্রী
একদিকে আলোচনা আরেকদিকে আন্দোলন বোধগম্য নয়: প্রধানমন্ত্রী
আলোচনায় বসার পাশাপাশি আন্দোলন কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেওয়ায় জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, 'একদিকে আলোচনা করবে আবার, আরেকদিকে আন্দোলনের কর্মসূচি দেওয়া- এটা কী ধরনের সংলাপ, সেটা আমাদের কাছে বোধগম্য না। জানি না, দেশবাসী জাতি এটা কীভাবে নেবে।' জেল হত্যা দিবস উপলক্ষে শনিবার রাজধানীর ফার্মগেটের কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন। সবার অংশগ্রহণে সুষ্ঠুভাবে আগামী সংসদ নির্বাচন করার লক্ষ্যেই সরকার সংলাপে বসেছে-এমন মন্তব্য করেপ্রধানমন্ত্রী বলেন, 'দেশের মানুষ তাদের মনের মতো সরকার বেছে নিক- সেই চিন্তা করেই কিন্তু আমরা সংলাপে বসেছি। আলোচনা করেছি। এরপর আরো অনেকের সঙ্গে আলোচনা করবো। এরকম সুন্দর একটি পরিবেশে আলোচনা হয়েছে।' জাতীয় ঐক্যজোটের বিভিন্ন দাবি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'তাদের দাবি তারা জানিয়েছেন। আমাদের যেটা মানা সম্ভব আমরা বলেছি সেটা করবো। তারা জানিয়েছে, রাজবন্দিদের মুক্তি চায়। আমরা বলেছি, রাজবন্দিদের তালিকা দিন। তাদের বিরুদ্ধে যদি কোনো খুনের মামলা না থাকে, যদি কোনো ক্রিমিনাল অফেন্স তারা না করে থাকে তাহলে অবশ্যই তাদের ছেড়ে দেওয়া হবে।' এ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা আরও বলেন, 'আমরা কাউকে রাজনৈতিক কারণে গ্রেফতার করি নাই। তাই যদি করতাম তাহলে খালেদা জিয়া যখন ২০১৫ সালে মানুষ পুড়িয়ে পুড়িয়ে মানুষ মারল, তখনই তাকে গ্রেফতার করতে পারতাম।' নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনে বিরোধী দলগুলোর দাবি প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সবার মতামত নিয়েই নির্বাচন কমিশন গঠন হয়েছে। তাই কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার কোনো যৌক্তিকতা নেই। জনগণই ভোটের মালিক উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'আগামী নির্বাচন অবাধ হবে, এতে কোনো সন্দেহ নেই।'
প্রধানমন্ত্রী,শেখ হাসিনা,সংলাপ,জাতীয় ঐক্যজোট
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
national
https://www.bhorerkagoj.com/2022/03/03/%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%b6%e0%a6%bf%e0%a7%9f%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%b0%e0%a7%81%e0%a6%a6%e0%a7%8d%e0%a6%a7%e0%a7%87-%e0%a6%9c%e0%a6%be%e0%a6%a4%e0%a6%bf%e0%a6%b8%e0%a6%82%e0%a6%98/
রাশিয়ার বিরুদ্ধে জাতিসংঘে নিন্দা প্রস্তাব, ভোটদানে বিরত বাংলাদেশ
ইউক্রেন আক্রমণের ঘটনায় রাশিয়াকে তিরস্কারের পক্ষে দুদিনের তপ্ত বিতর্কের পর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে নিন্দা প্রস্তাব গৃহিত হয়েছে। বুধবার (২ মার্চ) মস্কোকে লড়াই থামানোর জন্য বলা হয়েছে এবং সামরিক বাহিনীকে প্রত্যাহার করতে বলা হয়েছে। ইউক্রেনে শান্তি ফেরাতে ১৪১-৫ ভোটে পাস হওয়া ওই প্রস্তাবে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোটদানে বিরত ছিল বাংলাদেশ। বুধবারের ভোটে ইউক্রেনে আক্রমণের ঘটনায় রাশিয়ার নিন্দা করা হয়েছে। এ ব্যাপারে একটি প্রস্তাব জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে অনুমোদন পেয়েছে। বাংলাদেশের পাশাপাশি ভারত, পাকিস্তান, চীনসহ আরও ৩৪ রাষ্ট্র একইভাবে ভোটাভুটি থেকে ইচ্ছাকৃতভাবে নিজেদের দূরে রেখেছে। সাধারণ পরিষদে ইউক্রেন পরিস্থিতি নিয়ে চলা জমজমাট বিতর্ক এবং ভোটাভুটির সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন নিউইয়র্কেই ছিলেন। কূটনৈতিক সূত্র নিশ্চিত করেছে, ভোটদানে বিরত থাকলেও সংলাপ এবং কূটনৈতিক সমাধানের মধ্য দিয়ে রাশিয়া-ইউক্রেন দুই ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশির শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিতে বাংলাদেশ জাতিসংঘের কার্যকর উদ্যোগের জোর দাবি জানিয়েছে। ভোটে প্রস্তাবটির পক্ষে ১৪১ দেশ এবং বিপক্ষে ছিল রাশিয়াসহ পাঁচটি দেশ। আরও ৩৫ দেশ ভোট দেয়া থেকে বিরত থেকেছে। খবর রয়টার্সের। চীন নিরাপত্তা পরিষদের ভোটের মতই কৌশল হিসেবে ভোট দেয়া থেকে বিরত থেকেছে। এর আগে ন্যাটোর পূর্বমূখী সম্প্রসারণের বিরোধিতার রাশিয়ার পক্ষে প্রকাশ্য অবস্থান নিয়েছিল দেশটি। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে রাশিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ছে চীনের। চীন বলেছে, মস্কোর বিরুদ্ধে পশ্চিমারা যে নিষেধাজ্ঞাগুলো দিচ্ছে, তাতে বেইজিং অংশ নেবে না। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে পাস হওয়া প্রস্তাব আইনগতভাবে রাশিয়া মেনে চলতে বাধ্য নয়। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, জাতিসংঘে কূটনৈতিকভাবে মস্কোকে আরও বিচ্ছিন্ন করে দেয়াটাই ওই প্রস্তাবের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য। এর আগে শুক্রবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে একই ধরনের একটি প্রস্তাব উত্থাপন করা হলেও রাশিয়া তাতে ভেটো দেয়। ফলে প্রস্তাবটি তখনই নাকচ হয়ে যায়। এরপর প্রস্তাবটি সাধারণ পরিষদে পাঠানো হয়। গত চার দশকের মধ্যে এই প্রথমবার নিরাপত্তা পরিষদ থেকে আলোচনার জন্য কোনো প্রস্তাব সাধারণ পরিষদে পাঠানো হলো। বুধবারের ভোটে দেখা গেছে, রাশিয়ার মিত্র সার্বিয়া বিপক্ষে ভোট দিয়েছে। ভোটের পর মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছেন, ইউক্রেনে যে সংঘাতের চেয়ে বেশি কিছু ঘটছে, সেটা জাতিসংঘের ১৪১টি সদস্য দেশ জানে। ইউরোপের নিরাপত্তা ও পুরো নিয়মভিত্তিক শৃঙ্খলার ওপর হুমকি এই আগ্রাসন। এদিকে জাতিসংঘে নিযুক্ত রাশিয়ার দূত ভ্যাসিলি নেবেনজিয়া ইউক্রেনে বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্যবস্তু বানানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
জাতিসংঘে নিন্দা প্রস্তাব,বাংলাদেশ,ভোটদানে বিরত,রাশিয়া
বুধবার ইউক্রেন আক্রমণের ঘটনায় রাশিয়ার বিরুদ্ধে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে নিন্দা প্রস্তাব গৃহিত হয়েছে।
national
https://www.bd-pratidin.com/city-news/2022/01/08/728718
ডেমরায় অসহায় ও দুঃস্থদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করলেন সেনাপ্রধান
১,০০০ জন অসহায় ও দুস্থ মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ, এসবিপি, ওএসপি, এনডিইউ, পিএসসি, পিএইচডি। আজ শনিবার দুপুরে ঢাকার ডেমরায় করিম জুট মিলস প্রাঙ্গণে সদর দপ্তর লজিস্টিকস এরিয়ার সার্বিক তত্ত্বাবধানে এই শীতবস্ত্র বিতরণ করেন তিনি। এসময় সেনাবাহিনী প্রধানের সঙ্গে আর্মি ট্রেনিং অ্যান্ড ডকট্রিন কমান্ডের (আর্টডক) জিওসি লেফটেনেন্ট জেনারেল এস এম মতিউর রহমান ওএসপি, এসইউপি, এএফডব্লিউসি, পিএসসিসহ সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তাগণ, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন। তিনি আরও বলেন, 'ভবিষ্যতেও বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এ ধরনের জনসেবামূলক কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখবে।' সেনাবাহিনী প্রধানের নির্দেশে প্রতিবছরের ন্যায় এ বছরও শীত মৌসুমে অসহায় ও দরিদ্র শীর্তাত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণসহ নানাবিধ জনসেবামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করছে সেনাবাহিনী। এরই ধারাবাহিকতায় শীতকালীন প্রশিক্ষণ পরিদর্শন শেষে সেনাবাহিনী প্রধান স্থানীয় দরিদ্র মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করেন। বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ
অসহায়, দুঃস্থ, শীতবস্ত্র, সেনাপ্রধান
সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ আজ শনিবার ০৮-০১-২০২২ ডেমরার করিম জুট মিলস প্রাঙ্গণে অসহায় ও দুঃস্থ মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করেন। - আইএসপিআর
national
https://www.prothomalo.com/feature/naksha/ঘর-সাজানোয়-গামছা
ঘর সাজানোয় গামছা
নগর ফ্যাশনে গামছা সমাদৃত হয়েছিল ফ্যাশন ডিজাইনার বিবি রাসেলের হাত ধরে। শুধু দেশেই নয়, দেশের বাইরেও গামছার তৈরি পোশাক ও গয়না তুলে ধরেছেন তিনি। এখন তো গামছার ব্যবহার রীতিমতো হয়ে উঠছে বাঙালি ঐতিহ্যের ধারা। অন্দরসাজেও আসছে গামছার ব্যবহার। আগে হয়তো ঘরে পয়লা বৈশাখ বা এমন দেশীয় উৎসবের আয়োজনে বাঙালিয়ানার আমেজ আনতে কোনো কোণে ঝুলিয়ে দেওয়া হতো গামছা। পোশাক আর গয়নার পাশাপাশি এখন ল্যাম্পশেড, কুশন কাভার, পর্দা, ঘরের গাছের পটসহ ঘর সাজানোর নানা জিনিসে নানাভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে গামছা। বাংলাদেশে যে গামছা তৈরি হয় তাতে রং ও বুননের অনেক বৈচিত্র্য। এ জন্য আমাদের নিত্যব্যবহার্য গামছা দিয়ে তৈরি করা যায় অনেক সৃজনশীল জিনিস-এমনটাই বলছিলেন নিপুণের প্রধান ডিজাইনার ফয়সাল মাহমুদ। অনেকেই কুশন কাভার, পর্দায় গামছার আদলে (দেখতে গামছার মতো তাঁতের কাপড়) তৈরি কাপড়ে বানাতেন এসব পণ্য। তবে এখন সরাসরি গামছাটাই ব্যবহার করা হচ্ছে। এ কাপড়টাকেই জড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে ল্যাম্পশেডে, বানানো হচ্ছে কুশন কাভার, লেপের আদলে কুইল্ট ইত্যাদি। গামছা দিয়ে অন্দরসাজের নানা পণ্য তৈরি করছে এসথেটিকস। এসথেটিকসের অন্দরসজ্জাবিদ সাবিহা কুমু বললেন, লোকজ পণ্যগুলোতে (যেমন মাটির পট, মাটির ফটো ফ্রেম আয়না ইত্যাদি) এক টুকরো গামছার কাপড়ের ব্যবহার পুরো জিনিসটাতেই একধরনের নতুনত্ব এনে দেয়। তাই এ ধরনের জিনিস দিয়ে ঘর সাজানোর সময় কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। না হলে ঘর সাজানোর মূল সৌন্দর্যটাই নষ্ট হবে। যেমন যে ঘরে এসব পণ্য রাখা হবে, সেই ঘরের আসবাবগুলো দেশীয় উপাদানের, যেমন বেত বা বাঁশের তৈরি হতে হবে। খুব বেশি জমকালো আসবাবের সঙ্গে গামছার পণ্যটা একেবারেই ভালো দেখাবে না। যদি আসবাবটা কাঠের হয়, সে ক্ষেত্রে তা ডার্ক পলিশ হতে হবে। আসবাবের নকশাটাও দেশীয় হতে হবে। গামছার তৈরি জিনিসের মধ্যে রানারের ব্যবহার বেশ জনপ্রিয়। রানারটা খাবার টেবিলের পাশাপাশি বসার ঘরেও ব্যবহার করতে পারেন। গামছার কাপড়ের রানার তো আছেই চাইলে পাটির চারদিকে চিকন করে গামছা মুড়িয়ে দিয়েও রানার বানিয়ে নিতে পারেন। ঘরের কোনো কোনার টেবিলে ছোট বেতের ম্যাট বানিয়ে চারদিকে গামছা মুড়িয়ে দিন। এর ওপরে মাটির তৈরি ঘোড়া বা পুতুল রেখে দিতে পারেন। গামছা দিয়ে তৈরি পর্দাও ব্যবহার করতে পারেন। তবে তা শুধু বসার ঘরেই ভালো দেখাবে। এ ক্ষেত্রে বসার ঘরে উজ্জ্বল রঙের সুতার বুননের গামছা লাগাতে পারেন। পুরো বাসা বা ঘরজুড়ে গামছার জিনিস না রাখাই ভালো। ঘরের অল্প কোনো জায়গায় এসব জিনিসের ব্যবহার অন্দরের সৌন্দর্যে যোগ করবে বাড়তি মাত্রা। গামছা, শরীর মোছার কাজে ব্যবহৃত এই জিনিসটি দিয়েও যে এত নান্দনিক জিনিস বানানো যায় তাই করে দেখিয়েছিলেন বিবি রাসেল। এখন তাঁর অনুপ্রেরণায় অনেক দেশীয় প্রতিষ্ঠানেই তৈরি হচ্ছে গামছার এসব পণ্য। এতে করে একদিকে যেমন সমৃদ্ধ হচ্ছে দেশীয় পণ্যের বাজার, অপরদিকে এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত অনেক তাঁতিও ফিরে পাচ্ছেন সুদিন।
গৃহসজ্জা,নকশা
অন্দর সজ্জায় গামছার ব্যবহার উজ্বলতা আনবে। কৃতজ্ঞতা: সাবিহা কুমু
life-health
https://www.prothomalo.com/entertainment/bollywood/আবার-হাসপাতালে-দিলীপ-কুমার-অবস্থা-স্থিতিশীল
আবার হাসপাতালে দিলীপ কুমার, অবস্থা স্থিতিশীল
ছাড়া পাওয়ার ১০ দিন পর আবার হাসপাতালে ভর্তি হলেন বলিউডের কিংবদন্তিতুল্য অভিনেতা দিলীপ কুমার। শ্বাসকষ্ট বোধ হওয়ায় গতকাল মঙ্গলবার তাঁকে মুম্বাইয়ের খারের পিডি হিন্দুজা হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি করা হয়।দিলীপ কুমারের পারিবারিক বন্ধু বসির খান আজ বুধবার প্রথম আলোর মুম্বাই প্রতিনিধিকে মুঠোফোনে জানিয়েছেন, এখন দিলীপ কুমারের অবস্থা স্থিতিশীল। তাঁকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে। বয়স বেড়ে যাওয়ায় ও স্বাস্থ্য খারাপ থাকায় পারিবারিকভাবেই তাঁকে চিকিৎসকের অধীনে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বসির খান বলেন, 'শারীরিকভাবে দিলীপ সাহেব কদিন ধরে খুব দুর্বল বোধ করছিলেন। বয়সের কথা মাথায় রেখে তাঁকে আমরা হাসপাতালে ভর্তি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। কারণ, করোনার এই সময়ে বাড়িতে লোকজন কম। আর সায়রা কোনো রকম ঝুঁকি নিতে চাইছিল না।' বসির খান জানান, গতকাল থেকে দিলীপ কুমারের ফুসফুস থেকে পানি বের করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ৩৫০ মিলিলিটার মতো পানি দিলীপ কুমারের ফুসফুস থেকে বের করা হয়েছে। চিকিৎসক নীতিন গোখলে ও জলিল পারকারের তত্ত্বাবধানে তাঁর চিকিৎসা চলছে। মাসের শুরুর দিকে দিলীপ কুমারকে একই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। বেশ কিছু দিন ধরে তিনি শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। তাঁকে জলিল পারকার ও নীতিন গোখলের অধীনে চিকিৎসা দেওয়া হয়। দিতে হয়েছিল অক্সিজেনও। চিকিৎসা শেষে তাঁকে বাসায় নেওয়া হয়। সেদিন এই বর্ষীয়ান অভিনেতার টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে মুখপাত্র ফায়জুল ফারুকি বলেছিলেন, 'আপনাদের সবার ভালোবাসা, প্রার্থনা, দোয়ায় দিলীপ সাহেব হাসপাতাল থেকে বাসায় যাচ্ছেন। স্রষ্টার অসীম করুণা আর খার হিন্দুজা হাসপাতালের চিকিৎসক গোখলে, পারকার, অরুণ শাহ ও তাঁদের সমগ্র টিমের অক্লান্ত প্রয়াসে এটা সম্ভব হয়েছে।' এই অভিনেতার বয়স ৯৮ বছর। তাঁর বার্ধক্যজনিত নানা সমস্যা আছে। এ কারণে প্রায়ই দিলীপ কুমার অসুস্থ থাকেন। গত মে মাসের শুরুর দিকেও তাঁর অসুস্থতার খবর শোনা গিয়েছিল। দুদিন হাসপাতালে ছিলেন সে সময়। এ ছাড়া তাঁকে নিয়ে এর আগে মৃত্যুর গুজবও ছড়িয়েছিল। তাঁর স্ত্রী সায়রা বানু এক পোস্টে এসব গুজব থেকে দূরে থাকার অনুরোধ করেছেন। তিনি পোস্টে লিখেছিলেন, 'সোশ্যাল মিডিয়ার ফরোয়ার্ড করা মেসেজ বিশ্বাস করবেন না। সাহেবের অবস্থা স্থিতিশীল। আপনাদের আন্তরিক প্রার্থনার জন্য ধন্যবাদ। চিকিৎসকদের মতে, দু-তিন দিনের মধ্যে উনি ঘরে ফিরে আসবেন। ইনশা আল্লাহ।' দিলীপ কুমারের আসল নাম ইউসুফ খান। ১৯২২ সালের ১১ ডিসেম্বর বর্তমান পাকিস্তানের পেশোয়ারে তাঁর জন্ম। 'জোয়ার-ভাটা', 'আন', 'আজাদ', 'দেবদাস', 'আন্দাজ', 'মুঘল-ই-আজম', 'গঙ্গা-যমুনা', 'ক্রান্তি', 'কর্মা', 'শক্তি', 'সওদাগর', 'মশাল'সহ ৫০-এর বেশি বলিউডের ছবিতে তিনি কাজ করেছেন। তপন সিনহা পরিচালিত বাংলা ছবি 'সাগিনা মাহাতো'তে দিলীপ কুমার অভিনয় করেছিলেন। ২০১৫ সালে ভারতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা 'পদ্মবিভূষণ' পান দিলীপ কুমার। ১৯৯১ সালে দেশের তৃতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা 'পদ্মভূষণ' ও ১৯৯৪ সালে 'দাদাসাহেব ফালকে' পুরস্কারে ভূষিত হন এ অভিনেতা।
দীলিপ কুমার,শিল্পীর চিকিৎসা,বিদেশের খবর
দিলীপ কুমার
entertainment
https://www.ajkerpatrika.com/168067/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%8B%E0%A6%9F%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%BE-%E0%A6%98%E0%A7%82%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A3%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%87%E0%A6%87-%E0%A6%B6%E0%A7%87%E0%A6%B7-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6
প্রোটিয়া ঘূর্ণিতেই শেষ বাংলাদেশ
দক্ষিণ আফ্রিকার পেসবান্ধব উইকেটে স্পিনাররাই ধসিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশকে। দুই প্রোটিয়া স্পিনার কেশব মহারাজ আর সাইমন হারমারের ঘূর্ণিতে প্রথম সেশনেই গুটিয়ে গেছে মুমিনুল হকের দল। মাত্র ১৩ ওভার ব্যাটিং করে ডারবান টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ অল আউট ৫৪ রানে। টেস্টে যা বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন দলীয় স্কোর। ২২০ রানের বড় জয়ে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ১-০তে এগিয়ে গেল দক্ষিণ আফ্রিকা।দিনের প্রথম ওভারেই ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। মহারাজের বলে এলবিডব্লুর ফাঁদে পড়ে মুশফিকুর রহিম ফিরেছেন রানের খাতা খোলার আগেই। নিজের পরের ওভারে ফিরিয়েছেন লিটন দাসকে। এক ওভার পর সেই মহারাজের বলে লাইন মিস করে বোল্ড হয়েছেন ইয়াসির রাব্বিও।দিনের প্রথম ওভারের প্রথম বলে নাজমুল হাসান শান্তর এক রান নিয়ে স্ট্রাইক দেন মুশফিককে। ভালো লেংথে বল পিচ করে নিচু হয়ে আসছিল মহারাজের বল। প্রথম তিন বল কোনোভাবে ঠেকিয়ে দিলেও পঞ্চম বলে লাইন মিস করেন মুশফিক। বল প্যাডে আঘাত করে। মহারাজ আবেদন করতেই আঙুল তুলে দেন আম্পায়ার। রিভিউ নিয়েছিলেন মুশফিক, তবে লাভ হয়। বল স্টাম্পে হিট করায় সাজঘরের পথ ধরতে হয় অভিজ্ঞ এই ব্যাটারকে।মুশফিক ফেরার পর উইকেটে এসে কিছু বুঝে ওঠার আগেই আউট হয়েছেন লিটন দাস (২)। মহারাজের বলে মিড অনে সাইমন হারমারের হাতে ক্যাচ দেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার। মহারাজের বলে রীতিমতো গোলকধাঁধায় পড়েছেন বাংলাদেশি ব্যাটাররা। এক ওভার পর বোলিংয়ে এসে মহারাজ বোল্ড করেছেন ইয়াসিরকেও (৫)। প্রথম ৬ উইকেটের ৫টিই নিয়েছেন এই বাঁহাতি অফ স্পিনার। ঠিক এর পরের ওভারেই হারমার এসে মেহেদী হাসান মিরাজকে কেগান পিটারসেনের হাতে ক্যাচ বানিয়েছেন। মুশফিকের মতো মিরাজও ফিরেছেন কোনো রান না করেই।দলীয় ৩৩ রানে সপ্তম উইকেটের পতন হলে লজ্জার এক রেকর্ড হাতছানি দিচ্ছিল বাংলাদেশকে। শঙ্কা জাগে টেস্টে নিজেদের সর্বনিম্ন রানের অল আউট হওয়ার। এর আগে ২০১৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৪৩ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত শান্ত-তাসকিনের ব্যাটে ৪৩-এর গেঁরো পার করে সফরকারীরা। এরপর অবশ্য বেশি দূর এগোতে পারেননি শান্ত। হারমারের বলে স্টাম্পড হয়ে ফেরার আগে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ২৬ রান করেন এই টপ অর্ডার ব্যাটার। পরের ওভারে মহারাজ ফিরিয়েছেন খালেদ আহমেদকে শূন্য রানে।নিজের পরের ওভারে তাসকিন আহমেদকে (১৪) ফিরিয়ে মুড়িয়ে দিয়েছেন মহারাজ। দুই স্পিনার মিলেই বাংলাদেশের ১০ উইকেট তুলে নিয়েছেন। মহারাজ নিয়েছেন ৭টি আর হারমারের শিকার ৩ উইকেট।
খেলা,ক্রিকেট,মুশফিকুর রহিম
কেশব মহারাজের ঘূর্ণিতে এলোমেলো বাংলাদেশ।
sports
https://www.prothomalo.com/sports/football/নেইমারের-খবর-নেই-নতুন-নেইমারে-চোখ-বার্সেলোনার
নেইমারের খবর নেই, নতুন নেইমারে চোখ বার্সেলোনার
২০১৭ সালে রেকর্ড ২২২ মিলিয়ন (২২ কোটি ২০ লাখ) ইউরোর বিনিময়ে বার্সেলোনা ছেড়ে পিএসজিতে পাড়ি জমিয়েছেন নেইমার। ফরাসি ক্লাবের জার্সিতে ভালো খেলতে থাকলেও কিছুদিন পরপরই শোনা যায় তাঁর বার্সায় ফেরার গুঞ্জন। নেইমার নিজেও স্পেনে ফেরার আগ্রহের কথা বলেছেন। তাঁর সাবেক বার্সেলোনা সতীর্থ মেসিও বলেছেন বার্সেলোনায় ফিরতে চান নেইমার। কিন্তু সেই গুঞ্জনের আলোর মুখ দেখা আর হয় না। আর্থিক দুর্দশার মধ্য দিয়ে যাওয়া বার্সেলোনার পক্ষে নেইমারকে আগামী মৌসুমে টানা সম্ভব নয়। ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড পিএসজিতেই নিজের ভবিষ্যৎ দেখতে শুরু করেছেন। নতুন করে চুক্তি স্বাক্ষর করতে যাচ্ছেন। এতে আগ্রহী ক্লাবের পক্ষে তাঁকে টানা কঠিন হয়ে উঠবে। এবার তাই 'নতুন নেইমার'-এর ওপর চোখ পড়েছে বার্সেলোনার। নতুন নেইমার অবশ্য ব্রাজিলিয়ান নন। ঘরের কাছেই নেইমারের বিকল্প খুঁজে পেয়েছে বার্সেলোনা। স্প্যানিশ এই ফুটবলারের নাম ব্রায়ান গিল। আজ বৃহস্পতিবার ২০ বছর বয়সে পা রাখা তরুণ এই উইঙ্গারকে তুলনা করা হচ্ছে নেইমারের সঙ্গে। বর্তমানে স্প্যানিশ ক্লাব এইবারের জার্সিতে খেলছেন তিনি। ২০২০-২১ মৌসুমে স্পেনের ফুটবলের সেরা আবিষ্কার বলা হচ্ছে তাঁকে। ( ) . . . . ../ স্পেনের অনূর্ধ্ব-২১ দলে খেলা গিল সেভিয়া থেকে ধারে এসেছেন এইবারে। ১৪ ম্যাচ খেলে গোল করেছেন ৩টি। তাঁর ওপরে মূলত নজর পড়েছে বার্সেলোনার বিখ্যাত জহুরি জার্মান ভায়া বায়াব্রিগার। যার কারণেই বার্সেলোনা পেয়েছিল আন্দ্রেস ইনিয়েস্তাকে। বার্সেলোনার ইতিহাসে এরই মধ্যে নাম লিখিয়ে ফেলা আনসু ফাতিও বায়াব্রিগার কারণেই লা মাসিয়ায় জায়গা পেয়েছেন। ব্রায়ান গিলকে নেইমারের সঙ্গে তুলনা করে বড় ফুটবলারের সার্টিফিকেট দিয়েছেন বায়াব্রিগার, 'এই মুহূর্তে সে স্পেনের সেরা ফুটবলার এবং তাকে নেইমারের সঙ্গে তুলনা করছি। ওর মধ্যে বিশেষ কিছু আছে। এবং যেকোনো জায়গায় মানিয়ে নিতে পারে। সে ফুল ব্যাক, মাঝমাঠ বা লেফট উইঙ্গার হিসেবেও খেলতে পারে। বিষয়টি দারুণ।' সেভিয়ার সঙ্গে ২০২৩ পর্যন্ত চুক্তি গিলের। তবে চেষ্টা করলেই তাঁকে নিতে পারবে বার্সেলোনা। স্পেনের ফুটবলের নিয়ম অনুযায়ী সবারই বাই আউট ক্লজ থাকে। আর গিলের বাই আউট ক্লজ এখনো সীমার মধ্যে। বর্তমান চুক্তি অনুযায়ী এই মুহূর্তে ৩৫ মিলিয়ন ইউরো খরচ করলেই গিলকে পাওয়া যাবে। এরই মধ্যে এ বিষয় নিয়ে বায়াব্রিগার আলোচনা করেছেন বার্সেলোনোর ক্রীড়া পরিচালকের সঙ্গে, 'আমি ব্রায়ান গিলের ব্যাপারে রোমান প্লানেসের (বার্সেলোনার ক্রীড়া পরিচালক) সঙ্গে আলাপ করেছি এবং বিষয়টি মাথায় আছে তাঁর। যদি এখনই চুক্তি করা যায় ৩৫ মিলিয়ন ইউরো রিলিজ ক্লজে পাওয়া যাবে তাঁকে। তবে সে যদি সেভিয়ার সঙ্গে নতুন চুক্তি করে ফেলে তখন ১৫০ মিলিয়ন ইউরো রিলিজ ক্লজ হতে পারে।' সেভিয়ার বিখ্যাত একাডেমিতে বেড়ে ওঠা গিল আপাতত অন্য ক্লাবে অভিজ্ঞতা অর্জনে ব্যস্ত। প্রথমে ধারে পাঠানো হয়েছিল লেগানেসে। সেখান থেকেই এই বছর এসেছেন এইবারে। এই গ্রীষ্মেই এইবারের সঙ্গে ধারের চুক্তি শেষ হয়ে যাবে।
বার্সেলোনা,সেভিয়া,নেইমার
গিলে নজর পড়েছে বার্সেলোনার।
sports
https://www.prothomalo.com/bangladesh/ইলিশ-ধরায়-২২-দিনের-নিষেধাজ্ঞা-আজ-মধ্যরাত-থেকে-শুরু
ইলিশ ধরায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা আজ মধ্যরাত থেকে শুরু
আজ রোববার মধ্যরাত থেকে দেশের নদ-নদী ও বঙ্গোপসাগরে ইলিশ ধরায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শুরু হচ্ছে। ইলিশের প্রজনন নির্বিঘ্ন করতে বেশ কয়েক বছর ধরে এই নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হচ্ছে। এই সময় মাছ ধরা, বিক্রি, বিপণন, মজুত ও পরিবহন নিষিদ্ধ থাকে। নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করা হলে জরিমানা ও কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে। মৎস্য অধিদপ্তর বলছে, ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা চলাকালে জেলেরা ২০ কেজি করে চাল সহায়তা পাবেন। বরিশাল বিভাগের ৬ জেলায় এই সহায়তা পাবেন ৩ লাখ ৭ হাজার ১২৪ জেলে। এর মধ্যে বরিশাল জেলার ৫১ হাজার ৭০০ জন, পিরোজপুরের ১৭ হাজার ৭০০, পটুয়াখালীর ৬৩ হাজার ৮০০, ভোলার ১ লাখ ৩২ হাজার, বরগুনায় ৩৭ হাজার ৭৪ এবং ঝালকাঠিতে সহায়তা পাবেন ৩ হাজার ৮৫০ জেলে। এরই মধ্যে ৬ হাজার ৯৪২ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বরিশাল বিভাগীয় উপপরিচালক আনিসুর রহমান তালুকদার গতকাল শনিবার প্রথম আলোকে বলেন, এরই মধ্যে এসব বরাদ্দ সংশ্লিষ্ট জেলায় জেলা প্রশাসকদের কাছে চলে এসেছে। নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। ইলিশ গবেষকেরা বলছেন, ইলিশ মূলত সারা বছরই ডিম দেয়। তবে সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর-এই দুই মাসের চারটি অমাবস্যা-পূর্ণিমায় ডিম পাড়ে। বিশেষ করে অক্টোবরের দুটি অমাবস্যা-পূর্ণিমাকে কেন্দ্র করে প্রতিবছর ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। এই সময়ে ইলিশ ধরা থেকে বিরত থাকার প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে মা ইলিশ রক্ষা করা, যাতে তারা নিরাপদে নদীতে ডিম ছাড়তে পারে। এই ডিম রক্ষা করতে পারলে তা নিষিক্ত হয়ে জাটকার জন্ম হবে। সেই জাটকা রক্ষা করা গেলে দেশে বড় আকারের ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। এ ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার পর প্রতিবছর ২ নভেম্বর থেকে ৩০ জুন-এই ৮ মাস জাটকা ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকে। দুই ধাপের এই নিষেধাজ্ঞার কারণে দেশে ইলিশ উৎপাদন যেভাবে বেড়েছে, তেমনি ওজন-আকারেও বেড়েছে। বাংলাদেশে ২০০৩-০৪ সাল থেকেই জাটকা রক্ষার কর্মসূচি শুরু করা হয়। তখন থেকেই ধীরে ধীরে ইলিশের উৎপাদন বাড়ছিল। বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের তথ্যানুযায়ী, দেশের মোট মৎস্য উৎপাদনের প্রায় ১২ শতাংশ আসে ইলিশ থেকে। মৎস্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইলিশ রক্ষায় সরকার ও মৎস্য বিভাগ এবং জেলে ও ব্যবসায়ীরা আগের চেয়ে অনেক বেশি যত্নশীল হয়েছেন। আগে ইলিশ সংরক্ষণ, এর জীবনাচার নিয়ে দেশে তেমন কোনো গবেষণা, পরিকল্পনা ছিল না। এখন নানামুখী কাজ হচ্ছে, গবেষণা করে নতুন নতুন তথ্য উদ্ঘাটন করা হচ্ছে। এসব তথ্য যাচাই করে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ইলিশের অভয়াশ্রম বাড়ানো হয়েছে। মা ইলিশ রক্ষায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা এবং জাটকা ধরায় ৮ মাসের নিষেধাজ্ঞা কড়াকড়িভাবে মানা হচ্ছে। এ সময়ে জাটকা ও মা ইলিশ ধরা প্রায় নিয়ন্ত্রণে এসেছে। ফলে ইলিশ নির্বিঘ্নে ডিম ছাড়তে পারছে। ফলে পোনা ও জাটকা বেড়ে ওঠার পরিবেশ পাচ্ছে। দেশের নদ-নদীতে সারা বছর ইলিশ মিলছে। একইভাবে সাগরে ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞাও সুফল দিচ্ছে। মৎস্যবিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা ওয়ার্ল্ডফিশের হিসাবে, বিশ্বের মোট ইলিশের ৮৬ শতাংশ এখন বাংলাদেশে আহরিত হচ্ছে। বাংলাদেশের পরই ইলিশের উৎপাদনে দ্বিতীয় স্থানে আছে ভারত। ৫ বছর আগে দেশটিতে বিশ্বের প্রায় ২৫ শতাংশ ইলিশ উৎপাদিত হতো। তবে চলতি বছর তাদের উৎপাদন প্রায় সাড়ে ১০ শতাংশে নেমেছে। তৃতীয় অবস্থানে থাকা মিয়ানমারে উৎপাদিত হয়েছে ৩ শতাংশের মতো। ইরান, ইরাক, কুয়েত ও পাকিস্তানে উৎপাদিত হয়েছে বাকি ইলিশ। ২০১৬ সালে মৎস্য অধিদপ্তর ও মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের একদল বিজ্ঞানী গবেষণা করে বলেছিলেন, বাংলাদেশে ইলিশের সর্বোচ্চ টেকসই উৎপাদন ৫ লাখ ৩০ হাজার টন হতে পারে। কিন্তু সেই পূর্বাভাস ভুল প্রমাণিত হয়েছে। চার বছরেই ইলিশের উৎপাদন সর্বোচ্চ ওই সীমা অতিক্রম করে গেছে। গত বছরের নভেম্বরে মৎস্য অধিদপ্তর ও ওয়ার্ল্ডফিশের গবেষণায় বলা হয়, বাংলাদেশে ৬ লাখ ৯০ হাজার টন ইলিশের সর্বোচ্চ টেকসই উৎপাদন সম্ভব। ইকো ফিশ প্রকল্পের দলনেতা ও মৎস্যবিজ্ঞানী অধ্যাপক আবদুল ওহাব প্রথম আলোকে বলেন, এই প্রকল্পের আওতায় উপকূলের ইলিশ অতিমাত্রায় আহরণ থেকে রক্ষা পেয়েছে এবং তা বড় হওয়ার সুযোগ পাওয়ায় দেশে ইলিশের উৎপাদন অবিশ্বাস্য হারে বেড়েছে। এতে ইলিশের পাশাপাশি অন্য মাছ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষা পেয়ে সেসব উৎপাদনও আগের চেয়ে অনেকাংশে বেড়েছে।
বরিশাল,ইলিশ মাছ,বরিশাল বিভাগ
সাগর থেকে ধরে আনা ইলিশ
economy
https://www.dailynayadiganta.com/cinema/358786/১৪-নভেম্বর-দীপিকার-বিয়ে
১৪ নভেম্বর দীপিকার বিয়ে
চলতি বছরের প্রথম থেকেই রণবীর সিং ও দীপিকা পাড়ুকোন এর বিয়ে নিয়ে গুঞ্জন চলছে। কবে, কোথায় হচ্ছে বিয়ে এ নিয়েও মুখরোচক খবর প্রকাশ হয়েছে অনেক। বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে এড়িয়ে গেছেন দুজনেই, নীরব থেকেছেন। অবশেষেবিয়ে নিয়ে নীরবতা ভাঙলেন তারা। রোববার বিকেলে ইনস্টাগ্রামে তারা যৌথ বিবৃতি দিয়েছেন। জানালেন, আগামী ১৪ ও ১৫ নভেম্বের সেই শুভ দিন, সেদিন তাদের চার হাত এক হতে চলেছে।সেখানে হিন্দি ও ইংরেজি ভাষায় তৈরি বিয়ের কার্ডের দুটি ছবিও পোস্ট করেছেন তারা। বলিউড তারকা রণবীর সিং আর দীপিকা পাড়ুকোনের বিয়ে কোথায় হবে? শোনা যাচ্ছে, রণবীর সিং আর দীপিকা পাড়ুকোন ভারতের বাইরে বিয়ের পরিকল্পনা করেছেন। রণবীর সিং সুইজারল্যান্ড পর্যটনের শুভেচ্ছাদূত। সুইজারল্যান্ডের সরকার চাচ্ছে, বলিউডের এই আলোচিত বিয়েটা যেন তাদের দেশে হয়। কিন্তু এই তারকা জুটি কী ভাবছেন? তাদের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কাছ থেকে সংবাদমাধ্যম জানতে পেরেছে, এই তারকা জুটি বিয়ের জন্য ইতালিকে বেছে নিচ্ছেন। এরই মধ্যে নাকি সেখানে হোটেল বুক করা হয়েছে। ওয়েডিং প্ল্যানার বুক করা হয়েছে। দীপিকার বাবা সবকিছু ঠিক করতে ইতালি ঘুরে এসেছেন। দীপিকা আর রণবীর বিয়ের ব্যাপারে শতভাগ গোপনীয়তা রক্ষা করতে চান। এই দুই তারকা নাকি যৌথভাবে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। রণবীর সিং ও দীপিকা পাড়ুকোনের বিয়ের কার্ডরণবীর আর দীপিকার পরিবার নাকি রাজস্থানের উদয়পুরে বিয়ের আয়োজন করতে চেয়েছিল। কিন্তু তা হচ্ছে না। তবে একটা খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে, বিরাট কোহলি আর আনুশকা শর্মার মতো তারাও বিয়ের পর রিসেপশন পার্টি মুম্বাইয়ে করবেন। তবে একটি রিসেপশন পার্টি হবে বেঙ্গালুরুতে। এর আগে বিরাট কোহলি আর আনুশকা শর্মা বিয়ের জন্য বেছে নেন ইতালির তাসকানি শহরকে। বিরাট কোহলি আর আনুশকার মতো বিয়ের আগে বিয়ে নিয়ে একটা বিজ্ঞাপনে দেখা যাবে 'দীপবীর'কে। বিরাট ও আনুশকা যে প্রতিষ্ঠানের হয়ে প্রচার করেছিলেন, রণবীর আর দীপিকাকেও একই প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনে দেখা যাবে। রণবীর সিং ও দীপিকা পাড়ুকোনশোনা যাচ্ছে, রণবীর ও দীপিকার আশীর্বাদ হয়ে গেছে। গত বছর তারা যখন শ্রীলঙ্কা বেড়াতে গিয়েছিলেন, তখন দুই পরিবারের উপস্থিতিতে তাদের 'রোকা' (আশীর্বাদ) হয়। এই দুই তারকার বিয়ে ঘিরে চারদিকে এত জল্পনাকল্পনা, কিন্তু রণবীর ও দীপিকা মুখে কুলুপ এঁটে বসে আছেন। বিয়ের কেনাকাটা শেষ করেছেন দীপিকা ও তাঁর মা উজ্জ্বলা। রণবীরের পরিবারের ইচ্ছে, বিয়েটা সিন্ধি রীতিতে হোক। শোনা যাচ্ছে, ঐতিহ্যগত প্রথা 'সানথ' অনুষ্ঠিত হবে। সানথ অনুষ্ঠানে বরের জামাকাপড় ধরে টানাটানি করে ছিঁড়ে ফেলেন বন্ধু আর স্বজনেরা। হাস্যরসে মেতে ওঠেন সবাই। আর দীপিকার মা উজ্জ্বলা পাড়ুকোনের ইচ্ছে, বিয়ের ১০ দিন আগে বেঙ্গালুরুতে 'নন্দী পূজা' করবেন। পূজার পুরোহিতও ঠিক করা হয়ে গেছে। রণবীর সিংয়ের পরিবার মুম্বাই থেকে বেঙ্গালুরুতে দীপিকার বাসায় যাবেন।
null
রণবীর সিং ও দীপিকা পাড়ুকোন
entertainment
https://www.ajkerpatrika.com/192422/%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%95%E0%A6%B2%E0%A6%BE-%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%AC%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A7%9F%E0%A7%80-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%B9%E0%A6%A4%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A7%9F
ট্রেনের ধাক্কায় কলা ব্যবসায়ী নিহত
জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলায় ট্রেনের ধাক্কায় সামছুল হক (৬০) নামে এক কলা ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। আজ শনিবার দুপুরে ইসলামপুর পৌর এলাকার ধর্মকুড়া ঋষিপাড়া রেলওয়ে ক্রসিংয়ে এই দুর্ঘটনা ঘটে।নিহত সামছুল হক ইসলামপুর পৌর শহরের কিসামতজাল্লা গ্রামের মৃত আমজাদ হোসেনের ছেলে। তাঁর দুই মেয়েসন্তান রয়েছে। তিনি ইসলামপুর বাজারে কলার ব্যবসা করতেন।স্থানীয় ও মৃত ব্যক্তির পরিবার সূত্রে জানা যায়, আজ দুপুরে ধর্মকুড়া ঋষিপাড়া রেলওয়ে ক্রসিংয়ে হেঁটে পার হওয়ার সময় দেওয়ানগঞ্জ থেকে ঢাকাগামী কমিউটার ট্রেনের ধাক্কায় ছিটকে পড়েন সামছুল হক। মুহূর্তের মধ্যেই তাঁর শরীর ছিন্নবিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।ইসলামপুরের পৌর মেয়র আব্দুল কাদের সেখ বলেন, 'আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। সামছুল হক ইসলামপুর বাজারে কলার ব্যবসা করতেন। ঘটনার পর স্বজনেরা ছিন্নবিচ্ছিন্ন মরদেহ উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যায়।'জামালপুর রেলওয়ে থানার ওসি গুলজার হোসেন বলেন, ঢাকাগামী কমিউটার ট্রেনের ধাক্কায় সামছুল হক নামে একজন মারা গেছেন।
জামালপুর,দুর্ঘটনা,নিহত,ব্যবসায়ী,ইসলামপুর,ময়মনসিংহ
ট্রেনের ধাক্কায় কলা ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন।
national
https://www.ajkerpatrika.com/89932/%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A6-%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A6%A8-%E0%A6%A5%E0%A7%87%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%AB%E0%A7%87%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A6%A5%E0%A7%87-%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%B2%E0%A6%BE
সংবাদ সম্মেলন থেকে ফেরার পথে হামলা
চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে কর্মীদের ওপর হামলা, হুমকি ও নির্বাচনী ক্যাম্প ভাঙচুরের প্রতিবাদে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলন থেকে ফেরার পথে হামলার আহত হয়েছেন এক ব্যক্তি। তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী সামিউল হক লিটনের কর্মী। গত সোমবার দুপুরে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী সামিউল হক লিটনের সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।হামলার আহত ব্যক্তির নাম জুয়েল (৪০)। তিনি পৌর এলাকার আলীনগর মুন্সিপাড়ার বাসিন্দা ও পেশায় ঠিকাদার।জানা গেছে, সংবাদ সম্মেলন থেকে বাড়ি ফেরার পথে শহরের সন্ধ্যা কমিউনিটি সেন্টারের সামনে সন্ধ্যার দিকে সন্ত্রাসীরা জুয়েলের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে তিনি গুরুতর আহত হন।জুয়েল বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে কর্মীদের ওপর হামলা, হুমকি ও নির্বাচনী ক্যাম্প ভাঙচুরের প্রতিবাদে সোমবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করেন স্বতন্ত্র প্রার্থী সামিউল হক লিটন। সংবাদ সম্মেলন শেষে বাড়ি ফেরার পথে সন্ধ্যায় সিনেমা হলের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এ সময় ১২-১৩ জন সন্ত্রাসী তাঁর ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। সন্ত্রাসীরা তাঁর পকেটে থাকা টাকা ও মূল্যবান কাগজপত্র ছিনিয়ে নেয়। এর পর চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে যান তিনি।জুয়েল আরও বলেন, 'থানায় অভিযোগ দিয়ে কোনো বিচার পাব না। তাই অভিযোগ দেব না।'এ বিষয়ে জানতে চাইলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোজাফফর হোসেন বলেন, কোনো ব্যক্তি থানায় অভিযোগ দেবে কি না, সেটি তাঁর ব্যক্তিগত বিষয়। তবে অভিযোগ পেলে আইনত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ,রাজশাহী বিভাগ,হামলা,সম্মেলন,রাজশাহী,ছাপা সংস্করণ,রাজশাহী সংস্করণ,রাজশাহী ৬
সংবাদ সম্মেলন থেকে ফেরার পথে হামলা
national
https://samakal.com/international/article/1801723/হ্যারডস-থেকে-সরানো-হচ্ছে-ডায়ানাডোডির-মূর্তি
হ্যারডস থেকে সরানো হচ্ছে ডায়ানা-ডোডির মূর্তি
লন্ডনের অভিজাত ডিপার্টমেন্ট স্টোর হ্যারডসে প্রিন্সেস ডায়ানা ও ডোডি আল-ফায়েদের যে ব্রোঞ্জের মূর্তি ছিল তা সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। প্রিন্সেস ডায়ানা ও তার বন্ধু ডোডি ১৯৯৭ সালে প্যারিসে এক গাড়ি দুর্ঘটনায় মারা যাওয়ার পর হ্যারডসের তৎকালীন মালিক এবং ডোডির পিতা মোহাম্মদ আল-ফায়েদ এই যুগল ভাস্কর্য স্থাপন করেছিলেন। বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০০৫ সালে স্থাপিত মূর্তিটিকেএখনআল-ফায়েদের কাছেই ফিরিয়ে দেয়া হচ্ছে বলে ঘোষণা করা হয়েছে। আল-ফায়েদ ২০১০ সালে কাতারি রাজপরিবারের কাছে হ্যারডস বিক্রি করে দেন ১৫০ কোটি পাউন্ড দামে। মূর্তিটির নাম দেয়া হয়েছিল 'ইনোসেন্ট ভিকটিমস' বা 'নির্দোষ শিকার' - এবং এতে একটি ডানা মেলে দেয়া পাখির নিচে ওই যুগলকে নৃত্যের ভঙ্গিমায় তুলে ধরা হয়েছে। । হ্যারডসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাইকেল ওয়ার্ড বলেছেন, মূর্তিটি আল-ফায়েদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার এটাই উপযুক্ত সময়, কারণ সাধারণ লোকেরা এখন কেনসিংটন প্রাসাদে যে নতুন স্মৃতিস্তম্ভ নির্মিত হবে সেখানে গিয়ে সম্মান দেখাতে পারবেন। মিসরে জন্ম নেয়া ধনকুবের আল-ফায়েদ বরাবরই প্রিন্সেস ডায়ানা ও ডোডির মৃত্যু 'দুর্ঘটনা ছিল না' বলে দাবি করে আসছিলেন, কিন্তু সরকারি এক তদন্তে সেরকম কোন কিছু ঘটেনি বলে জানানো হয়। আল-ফায়েদের পরিবার কাতার হোল্ডিংসকে এতদিন মূর্তিটি রাখার জন্য ধন্যবাদ দিয়েছে। আল ফায়েদ ২০১১ সালে তার তৎকালীন মালিকানাধীন ফুলহ্যাম ফুটবল ক্লাবের সামনে পপ তারকা মাইকেল জ্যাকসেনর একটি মূর্তি বসিয়েছিলেন। পরে ফুলহ্যাম প্রিমিয়ার লিগ থেকে নেমে যাওয়ার পর তিনি বলেছিলেন, নতুন মালিক ওই মূর্তিটি সরিয়ে ফেলার কারণেই ক্লাব রেলিগেশনের শিকার হয়েছে।
ডায়ানা,ডোডি,প্রিন্সেস ডায়ানা,ব্রিটিশ রাজপরিবার
হ্যারডসে ডায়ানা-ডোডির যুগল মূর্তিগেটি ইমেজেস
international
https://www.bd-pratidin.com/probash-potro/2017/10/17/273109
কুয়েতে নিহত ৫ বাংলাদেশির মরদেহ ঢাকা পৌঁছবে বৃহস্পতিবার
কুয়েতে অগ্নিকাণ্ডের দুর্ঘটনায় নিহত ৫ জনকেআগামীকাল বুধবার দিবাগত রাতে দেশে প্রেরণ করা হবে। এরই মধ্যে সরকারি সকল কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে। দূতাবাস থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার সকালে মরদেহ বাংলাদেশে পৌঁছবেবলে আশা করা যাচ্ছে। কুয়েতে বাংলাদেশ দূতাবাসের শ্রম কাউন্সিলের আব্দুল লতিফ খান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। লাশ বহনের সম্পূর্ণ খরচ দূতাবাস তথা বাংলাদেশ সরকার বহন করেছেন বলে তিনি জানান। উল্লেখ্য, গত ১৬ অক্টোবর সোমবার কুয়েতে সালমিয়া অঞ্চলে একটি আবাসিক ভবনে অগ্নিকাণ্ডে কুয়েত প্রবাসী জুনায়েদ এর স্ত্রী সহ ৫ জন নিহত হয়। নিহতরা হল স্ত্রী রোকেয়া বেগম (৪০), সন্তানরা হলো জমিলা (১৪), ইমাদ (১২), নাবিলা( ৯), ফাহাদ (৩)। নিহতদের দেশের বাড়ী সিলেটের মৌলবীবাজার জেলার কমলগঞ্জ থানায়। ঐ ভবনের ৫ম তলায় তারা বসবাস করত। একই ভবনের চতুর্থ তলায় আগুন লাগলে সেই লেলিহান আগুনের ধোঁয়ায় ওপরে থাকা ৫ম তালায় সবাই নিহত হন। ঐ ভবনের দ্বিতীয় তলায় বসবাস কারী আরেক বাংলাদেশী মাসুদুর রহমান জানান চতুর্থ তলায় আগুন লাগলে তারা নিচে নামতে পারেনি ছাঁদের দরজা বন্ধ থাকায় ছাদেও যেতে পারেনি। ঐ রুমেই তারা শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মারা যান। ঐ সময় ঐ পরিবারের অভিভাবক কুয়েত প্রবাসী জুনায়েদ আহমেদ কর্মস্থলে ছিলেন। নিহতদের মরদেহ বর্তমানে সাবাহ হসপিটালের হিমঘরে রাখা হয়েছে। কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এস এম আবুল কালাম, বাংলাদেশ দূতাবাসের শ্রম কাউন্সিলর আব্দুল লতিফ খান সহ দূতাবাসের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল ও হাসপাতাল পরিদর্শন করেন। এই ঘটনায় কুয়েতে সকল প্রবাসীদের মনে শোকের ছায়া নেমে আসে। বিডি-প্রতিদিন/ আব্দুল্লাহ সিফাত তাফসীর
null
র সবাই নিহত হয়েছে
life-health
https://samakal.com/whole-country/article/210874349/কোম্পানীগঞ্জে-সরকারি-চাল-জব্দ-প্যানেল-চেয়ারম্যাসহ-২-জনের-বিরুদ্ধে-মামলা
কোম্পানীগঞ্জে সরকারি চাল জব্দ, প্যানেল চেয়ারম্যানসহ ২ জনের বিরুদ্ধে মামলা
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের বাংলাবাজারের শেখ ফরিদ সর্দারের দোকান থেকে ৪ বস্তা ভিজিডি ও ভিজিএফের চাল জব্দের ঘটনায় প্যানেল চেয়ারম্যানসহ ২ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা তাহমিনা তামান্না বাদী হয়ে মুছাপুর রোববার রাত ১০ টায় ৫ নম্বর ওয়ার্ডের শেখ ফরিদ সর্দারের ছেলে জামাল উদ্দিন (৪২) ও মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান নূর জাহান (৩৫) কে আসামি করে মামলা করেন। এর আগে, বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বাংলাবাজারের জামাল উদ্দিনের দোকান থেকে ৩০ কেজি ওজনের ৩ বস্তা ও ৫০ কেজি ওজনের ১ বস্তা চাল জব্দ করা হয়। এ চাল ওই ইউনিয়নের ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার নূরজাহান রেখেছে বলে জানা যায়। মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম চৌধুরী শাহিন বলেন, উদ্ধার করা ৪ বস্তা ভিজিএফেল চালের মধ্যে ৩ বস্তা চাল প্রত্যন্ত অঞ্চলের নারী সদস্য নূর জাহান এর এলাকার ৩ জন সুবিধাভোগীর এবং ১ বস্তা তার স্বামী শাহজাহান এর নামে জেলে কার্ডের চাউল নিয়ে শেখ ফরিদ সর্দারের দোকানে রেখেছিল বলে তাকে জানিয়েছেন প্যানেল চেয়ারম্যান। কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি মো. সাইফুদ্দিন আনোয়ার বলেন, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা তাহমিনা তামান্না বাদী হয়ে দোকানদার জামাল উদ্দিন ও প্যানেল চেয়ারম্যান ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।
কোম্পানীগঞ্জ,সরকারি চাল,জব্দ,মামলা
জব্দ করা চাল
national
https://www.bd-pratidin.com/city-news/2019/04/29/419883
'জঙ্গিদের একজন ভ্যানচালক, অন্যজন চাকরিজীবী'
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বসিলা এলাকার জঙ্গি আস্তানায় যে দুজন নিহত হয়েছেন, তাদের একজন নিজেকে ভ্যানচালক ও অন্যজন বেসরকারি চাকরিজীবী হিসেবে পরিচয় দিয়েছিলেন। আর তাদের নাম বলেছিলেন সুজন ও সুমন। বাড়ির কেয়ারটেকার সোহাগ র্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এ তথ্য জানিয়েছেন। কেয়ারটেকারের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, 'দেড়মাস আগে ১৫শ' টাকায় বাসাটি ভাড়া নেয় তারা। প্রথমে ব্যাচেলর ভাড়া দেওয়া হবে না জেনে পরে নিজেদের বিবাহিত পরিচয় দেয় দু'জন। তখন তারা জানায়, দু'জনের স্ত্রীই দু-একদিনের মধ্যে আসবে ' জাহাঙ্গীর জানান, দেড়মাস আগে বাসা ভাড়া নিলেও দু'জন কখনোই একটানা থাকেনি। তাদের স্ত্রীকেও আনেনি যেহেতু, সেহেতু কেয়ারটেকারও এ বিষয়ে কিছু বলেনি। তারা মাঝেমধ্যে আসতো এবং দুই-একদিন করে থেকেছে। প্রথমবারের মতো গত ৩-৪ দিন ধরে একটানা দু'জন একসঙ্গে থাকছিলো। বাসা ভাড়া নেওয়ার সময় নিয়ম অনুযায়ী ভাড়াটিয়া হিসেবে কোনো তথ্যই ওই দু'জন দেয়নি বলে জানান কর্নেল জাহাঙ্গীর আলম। তিনি বলেন, তাদের আসল পরিচয় এবং পেশা আমরা জানার চেষ্টা করছি। সোমবার ভোর রাত সাড়ে ৩টার দিকে বসিলার মেট্রো হাউজিংয়ের টিনশেড ওই বাড়িটি জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে ঘেরাও করে র্যাব। পরে আশেপাশের বাসিন্দাদের নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে নেওয়া হয়। বিডি প্রতিদিন/কালাম
null
রোহেত রাজীব
national
https://www.bhorerkagoj.com/2020/05/28/%e0%a6%9a%e0%a7%80%e0%a6%a8-%e0%a6%b8%e0%a7%80%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a4%e0%a7%87-%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a7%9c%e0%a6%a4%e0%a6%bf-%e0%a6%b8%e0%a7%87%e0%a6%a8%e0%a6%be-%e0%a6%ae/
চীন সীমান্তে বাড়তি সেনা মোতায়েন করবে ভারত
প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর স্পর্শকাতর এলাকাগুলোয় ভারত বাড়তি সেনা মোতায়েন করবে। একইসঙ্গে সামরিক প্রয়োজনে অবকাঠামোর প্রকল্পগুলো দ্রুত শেষ করা হবে। চীনের চাপে নির্মাণকাজ বন্ধ করবে না ভারত। লাদাখে সীমান্ত উত্তেজনা প্রশমনে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাম্প্রতিক মন্তব্যকে গুরুত্ব দিলেও ভারত এখনো তার অবস্থানে অটল। ভারত মনে করছে, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা যেসব স্থানে লঙ্ঘিত হয়েছে, সেখান থেকে চীনা ফৌজ সরে না গেলে পরিস্থিতির বদল ঘটবে না। চলতি মাসের শুরু থেকে ভারত-চীন সীমান্তের দুটি সেক্টরে উত্তেজনা ছড়ায়। ৫ মে লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় গালওয়ানে ভারতকে রাস্তা তৈরিতে চীনা ফৌজ বাধা দেয়। একই সময় প্যাংগং লেকে ভারতীয় টহলদারি দলকেও বাধা দেওয়া হয়। চার দিন পর ৯ মে সিকিম-তিব্বত সীমান্তে নাকুলায় মুখোমুখি দাঁড়িয়ে পড়ে দুই দেশের সেনারা। দুই সেক্টরেই দুই দেশের সেনারা হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে। ঢিল ছোড়াছুড়িও চলে। অভিযোগ, লাদাখে কয়েকজন ভারতীয় জওয়ানকে চীনারা আটকও করে রাখে। যদিও ভারত তা অস্বীকার করেছে। করোনাকালে এই উত্তেজনা বাড়তি একটা সংকট সৃষ্টি করেছে। উত্তেজনার খবর পাওয়া মাত্র ভারতীয় সেনাপ্রধান জেনারেল নারভানে লাদাখের ফরোয়ার্ড সেক্টরে চলে যান। দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দফায় দফায় আলোচনায় বসেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল, চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ বিপিন রাওয়াত ও তিন বাহিনীর পদস্থ কর্তাদের সঙ্গে। ঠিক হয়, সামরিক ও কূটনৈতিক স্তরে আলোচনার মাধ্যমেই সমস্যা মেটাতে হবে। কিন্তু তা না হওয়া পর্যন্ত ভারতীয় সেনা তার বর্তমান অবস্থান থেকে সরবে না। অবিতর্কিত এলাকায় অবকাঠামো নির্মাণের কাজও বন্ধ করা হবে না। আরও ঠিক হয়, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর চীন তার অংশে বাড়তি সেনা ও অস্ত্র মোতায়েন করলে ভারতও করবে। উপগ্রহ চিত্রে দেখা গেছে, চীন তাদের অংশে বেশ কিছু বাংকার ও নতুন ছাউনি তৈরি করেছে। তিব্বতের গারি গুনশা ঘাঁটিতে ব্যাপক নির্মাণকাজ চলছে। সেখানে কয়েকটি যুদ্ধ বিমানের উপস্থিতিও উপগ্রহ চিত্রে দেখা গেছে। ওই অঞ্চলে ওই সময়ে চীনা সামরিক হেলিকপ্টার একাধিকবার ভারতীয় সীমানায় ঢুকেছে বলেও ভারতের দাবি। এই উত্তেজনার মাঝে চলতি সপ্তাহের শুরুতে চীন জানায়, ভারতে অবস্থানরত চীনা নাগরিকেরা চাইলে তাঁদের ফিরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। মঙ্গলবার চীনা প্রেসিডেন্ট শি চিনফিং জানান, দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সেনাকে সব ধরনের পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। বুধবার একই সঙ্গে দুটি বিবৃতি আসে। চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান সুর নরম করে বলেন, চীন-ভারত সীমান্ত পরিস্থিতি এখন স্থিতিশীল ও নিয়ন্ত্রণে। দুই দেশের সীমান্ত সমস্যা মেটানোর ব্যবস্থা যথেষ্ট ভালো। সামরিক ও কূটনৈতিক চ্যানেলও কার্যকর। কাজেই আলোচনার মাধ্যমেই সমস্যা মিটবে। দিল্লিতে প্রায় একই সুরে কথা বলেন চীনা রাষ্ট্রদূতও। তবে আগ্রহ সঞ্চারিত হয় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মন্তব্য ঘিরে। এক টুইটে তিনি বলেন, ভারত ও চীন দুই দেশকেই বলেছি, সীমান্ত উত্তেজনা প্রশমনে আমেরিকা প্রস্তুত, ইচ্ছুক ও পারদর্শী। করোনা সংকটের সময় সীমান্তে চীন কেন এভাবে সক্রিয়? সাবেক সেনাপ্রধান ভি কে সিং মনে করেন, করোনার দরুন প্রায় একঘরে চীন নজর ঘোরাতে আগ্রহী। যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে চীন-বিরোধী জোটে ভারত শামিল হোক বেইজিং তা চায় না। তা ছাড়া এমনও মনে করা হচ্ছে, সীমান্তবর্তী এলাকায় সামরিক প্রয়োজনে ভারতের নানা ধরনের অবকাঠামো নির্মাণ চীনের অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই ভারতকে তারা একটা বার্তা দিতে চাইছে।
করোনা,চীন,ভারত,যুদ্ধ,সেনা
ভারতীয় ও চীনের সেনারা
international
https://www.prothomalo.com/opinion/column/করোনাভাইরাস-সামনে-কঠিন-সময়
করোনাভাইরাস: সামনে কঠিন সময়
এমআইটি টেকনোলজি রিভিউতে করোনাভাইরাস মোকাবিলায় আদর্শ দেশ হিসেবে সিঙ্গাপুরের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। দেশবাসীর উদ্দেশে প্রদত্ত সে দেশের প্রধানমন্ত্রী লি সিয়েন লুংয়ের বক্তৃতা থেকে জানা যায়, তাঁরা করোনাভাইরাস-উদ্ভূত সমস্যাকে তিনভাবে মোকাবিলা করেছেন। প্রথমত, আক্রান্ত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করা, চিকিৎসা ও রোগের বিস্তার রোধ করা, দ্বিতীয়ত, দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য পর্যাপ্ত তহবিল বরাদ্দ করা; এবং সবশেষে জনগণকে নিয়ে সামাজিক ও মনস্তাত্ত্বিক প্রতিরোধ গড়ে তোলা হয়েছে। আক্রান্তদের চিহ্নিত, চিকিৎসা ও রোগের বিস্তাররোধ চীনের সঙ্গে নিবিড় বাণিজ্যিক ও সামাজিক সম্পর্কের কারণে, মাত্র কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই উহান ফ্লু (কোভিড-১৯) সিঙ্গাপুরে হানা দেয়। করোনাভাইরাস রোধে এখন পর্যন্ত তিনটি পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়েছে। সিঙ্গাপুরের অনুসৃত পদ্ধতি হলো আক্রান্তদের ও তাদের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের চিহ্নিত করা, দ্রুত টেস্টিং কিট প্রস্তুত করে তা সব বিমান, জল ও স্থলবন্দরে স্থাপন করা হয় এবং সবাইকে কোয়ারেন্টিন করা হয়। মাত্র তিন ঘণ্টার মধ্যে ব্যক্তিটি আক্রান্ত নয়, এটা নিশ্চিত করেই কেবল দেশে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়। হাসপাতালগুলো থেকে সাধারণ রোগীদের সরিয়ে সেখানে করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। অন্য দুটি পদ্ধতি হলো ইতালি অনুসৃত লকডাউন, অর্থাৎ পুরো জনগোষ্ঠীকেই ঘরে আবদ্ধ করে আক্রান্তদের চিকিৎসা করা এবং যুক্তরাজ্য প্রস্তাবিত যূথবদ্ধ সংক্রমণ-মুক্ততা (হার্ড ইমিউনিটি) সৃষ্টি করা। অর্থাৎ ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকানোর উদ্যোগ না নিয়ে বহুসংখ্যক মানুষকে সংক্রমিত হতে দেওয়া এবং চিকিৎসার মাধ্যমে তাদের মুক্ত করা, যার ফলে ভাইরাসের বিস্তার রোধ হবে। খোদ বিলাতেই এ পদ্ধতির সমালোচনা হচ্ছে। সিঙ্গাপুর অনুসৃত পদ্ধতির ফলে সে দেশে মাত্র ২১২ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয় এবং কোনো মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি। অন্যদিকে ইতালিতে বহুসংখ্যক ব্যক্তি এ রোগে আক্রান্ত হয়েছে এবং মৃত্যুবরণ করেছে। যুক্তরাজ্যে রোগটির সংক্রমণ বাড়ছে এবং মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশেই করোনাভাইরাস-উদ্ভূত আর্থিক সংকট কাটিয়ে ওঠার জন্য বাজেটে বিশেষ সহায়তা ও স্থিতিশীলতা প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে। সিঙ্গাপুরে এ জন্য চার বিলিয়ন ডলার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। আরও সাড়ে চার বিলিয়ন ডলার বরাদ্দের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট জানিয়েছে। মার্কিন কংগ্রেসও এক বিলিয়ন ডলারের খাদ্য সহায়তা অনুমোদন দিয়েছে। বিশাল অঙ্কের সহায়তা প্রস্তাব তাদের সংসদে বিবেচনাধীন রয়েছে। জাপানে সহায়তার পরিমাণ চার বিলিয়ন ডলার। ইতালি, স্পেন, ফ্রান্স বিশ্বযুদ্ধের গুরুত্ব দিয়ে সমস্যা মোকাবিলা করছে। সরাসরি সহায়তা ছাড়াও আর্থিক প্রণোদনা হিসেবে বিভিন্ন দেশে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সুদের হার কমানো, এমনকি শূন্য করা হয়েছে। সামাজিক ও মনস্তাত্ত্বিক প্রতিরোধ সংকট শুরুর প্রথম থেকেই সিঙ্গাপুর সরকার তাদের জনগণকে আশ্বস্ত করতে সক্ষম হয় যে তারা বিষয়টি পুরো নজরদারি করছে, এবং এটি তাদের নিয়ন্ত্রণে আছে। তারা সংকটকে স্বীকার করে নেয়। জনগণকে বোঝাতে সক্ষম হয় যে আক্রান্ত না হলে মাস্ক পরিধানের অথবা সুপারমার্কেটে খাদ্য ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর অভাব হবে-এমনটি ভাবার প্রয়োজন নেই। পুরো স্বাস্থ্যব্যবস্থা, ইমিগ্রেশন, আমলা, সরকারি, বেসরকারি পরিবহন, পরিচ্ছন্নতাকর্মী সবাইকে করোনাভাইরাস মোকাবিলায় নিয়োজিত করতে সক্ষম হয়। এবার এ ক্ষেত্রে আমাদের অবস্থা, উদ্যোগ কী, আরও কী করা প্রয়োজন, তা নিয়ে আলোচনা করা হলো। জনস্বাস্থ্য সমস্যা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ইতিমধ্যে কোভিড-১৯-কে মহামারি (প্যানডেমিক) বলে বর্ণনা করেছে এবং এর বিস্তৃতির প্রধান কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, বেশির ভাগ দেশই এটাকে গুরুত্বের সঙ্গে নেয়নি। শুধু তা-ই নয়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এ জন্য কতিপয় দেশের 'উদ্বেগজনক পদক্ষেপ গ্রহণের অভাব'-কে দায়ী করেছে। আমেরিকানরাও প্রথমে এটাকে চীনা ও এশীয় সমস্যা এবং যুক্তরাষ্ট্রে মহামারি হতে পারে না-এমন ধারণার বশবর্তী হয়ে সাধারণ ফ্লুর মতো এটা কেটে যাবে বলে ভাবে। ফলে অরক্ষিত বন্দরগুলোর মাধ্যমে রোগাক্রান্ত ব্যক্তিদের আগমন বাড়তে ও এটা সংক্রমিত হতে থাকে। এখন তাদের টনক নড়েছে। সর্বাত্মকভাবে তারা এখন পরিস্থিতির মোকাবিলা করছে। বাংলাদেশেও এ ধরনের একটা উন্নাসিকতা কাজ করছে। চীনারা সাপ, ব্যাঙ, বাদুড় যা পায়, তা খায়, আমরা পাঁচ ওয়াক্ত অজু করি-এসব ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক অজুহাতে আমাদের এসব রোগ হবে না, আমাদের দেশে তাপমাত্রা বেশি-এই সব ভেবে একশ্রেণির লোককে একটা আত্মপ্রসাদে ভুগতে দেখা যায়। কিন্তু ভাইরাস এমন একটা জিনিস যা জাতি, ধর্ম, পেশা, সামাজিক অবস্থান, নেট ওয়ার্থ, কিছুরই বাছবিচার করে না। ইতিমধ্যেই আক্রান্ত হয়েছে প্রধানমন্ত্রী-পত্নী (কানাডা ও স্পেন) ও খোদ ব্রিটিশ স্বাস্থ্যমন্ত্রী। বাদ পড়েননি পর্দার তারকা টম হ্যাঙ্কস ও মাঠের তারকা ড্যানিয়েল রুগানিসহ অনেকে। মহামারি ঠেকানোর একমাত্র পথ হলো এটা ও এর ব্যাপকতাকে স্বীকার করে নেওয়া। যেহেতু কোভিড-১৯ বিদেশপ্রত্যাগত যাত্রীদের মাধ্যমে ছড়ায়, তাই দেশের বিমান, স্থল, সমুদ্রবন্দরগুলোতে নজরদারি করতে হয়। সুস্থ ও অসুস্থ যাত্রীদের আলাদা করে আক্রান্ত ব্যক্তিদের কোয়ারেন্টিন করতে হয়। আমাদের গাফিলতির কারণে ইতিমধ্যেই আক্রান্ত ব্যক্তিদের কেউ কেউ দেশের ভেতরে প্রবেশ করেছে। সরকারি কোয়ারেন্টিন ব্যবস্থার অব্যবস্থাপনার কারণে বিদেশপ্রত্যাগতরা বিক্ষোভ করেছেন। গৃহবন্দিত্বের নির্দেশপ্রাপ্তদের কেউ কেউ এখন সাজেক ভ্যালি, এমনকি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের আড্ডায় ও আপ্যায়নে ব্যস্ত! অভিভাবকদের উপর্যুপরি দাবি সত্ত্বেও অনেক দীর্ঘসূত্রতার পর ছাত্রছাত্রীদের বয়কটের মুখে অবশেষে স্কুল-কলেজ বন্ধ করা হয়েছে। এগুলো সবই আমাদের উদাসীনতা, সংকট মোকাবিলায় প্রস্তুতির অভাব ও সিদ্ধান্তহীনতার নিদর্শন। আশা করি, শিগগিরই এর অবসান ঘটবে। দেশের হাসপাতালগুলো মহামারি বড় আকার ধারণ করলে এর চাপ নিতে পারবে কি না, সে বিষয়ে সংশয় রয়েছে। রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) সর্বোচ্চ কতজনের রোগ শনাক্ত করতে পারবে, চিকিৎসা প্রদান করতে পারবে? এ ছাড়া পর্যাপ্ত সংখ্যক টেস্ট কিট, ফ্রন্টলাইনের ডাক্তার, নার্সদের প্রতিরক্ষণ মাস্ক ও অন্যান্য সামগ্রী আছে কি না, তা-ও ভাবার বিষয়। সরকারের হাতে মাত্র ১ হাজার ৭৩২ টেস্ট কিট আছে বলে জানা গেছে! এখন থেকে আরও সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালকে এ প্রচেষ্টার সঙ্গে যুক্ত করতে হবে। চিকিৎসাসামগ্রী দেশে তৈরি ও আমদানি করে পর্যাপ্ত মজুত গড়ে তুলতে হবে। আর্থিক সমস্যা দেশে বিদ্যমান আর্থিক সংকটের মধ্যেই মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা হিসেবে এসেছে কোভিড-১৯ সৃষ্ট আর্থিক সমস্যা। প্রবাসীরা দলে দলে দেশে ফিরছেন। কবে তাঁরা ফিরে যেতে পারবেন, কেউ তা জানে না। আজ হোক, কাল হোক প্রবাসী রেমিট্যান্সের ওপর এর প্রভাব পড়তে বাধ্য। বণিক বার্তা প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে দেখা যায় যে দেশের রপ্তানি গন্তব্যের সব দেশই মহামারিতে আক্রান্ত। তালিকার ১০টি দেশে আমাদের মোট রপ্তানির প্রায় ৭০ শতাংশ যায়। সেসব দেশে আয় কমলে আমাদের রপ্তানিপণ্যের চাহিদা কমাই স্বাভাবিক। এ ছাড়া কয়েকটি খাত, বিশেষ করে হোটেল, বিমান চলাচল, সেবা খাত, গিগ ইকোনমি যেমন, স্বতন্ত্র ঠিকাদার, হোটেল-রেস্তোরাঁয় কর্মরত চুক্তিভিত্তিক, অস্থায়ী কর্মচারী, এরা বিরূপ আর্থিক অবস্থায় পড়বে। সরাসরি না হলেও দেশের কেউ এর প্রভাবমুক্ত থাকবে না। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড, আমদানি-রপ্তানি কমে গেলে রাজস্ব আদায়েও এর বিরূপ প্রতিক্রিয়া হবে। শেয়ারবাজারের অবিরাম পতনের মধ্যেও সংকটের চিত্র স্পষ্ট। সামাজিক ও মনস্তাত্ত্বিক সংকট আমাদের সরকার কিংবা জনগণ কেউ আসন্ন সংকট মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত নয়। অনেকেরই মধ্যে কিছু হবে না, এমন একটা ভাব। আবার পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যম ও বিদেশে অবস্থানরত স্বজনদের মাধ্যমে সেসব দেশে যা ঘটছে, তা জেনে আতঙ্ক সৃষ্টি হচ্ছে। উদাসীনতা বা আতঙ্ক কোনোটাই সমস্যার সমাধান নয়। অন্ধ হলেই তো প্রলয় বন্ধ হবে না। আবার ভয় পেয়ে সবকিছু ছেড়ে ঘরে আটকে থাকলেও চলবে না। অর্থনীতির কাঁটাও সচল রাখতে হবে। করণীয় কী প্রথমেই সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে। সমস্যা যে গুরুতর, তা স্বীকার করে নিতে হবে। সমস্যা মোকাবিলার জন্য জরুরি পদক্ষেপ ঘোষণা করতে হবে। দেশের প্রবেশপথগুলোতে নজরদারি বাড়াতে হবে। আক্রান্ত ও তারা যাদের সংস্পর্শে এসেছে, তাদের শনাক্ত করে চিকিৎসা ও নজরবন্দী করতে হবে। আক্রান্তদের সেবা স্বাস্থ্যকর্মীরাই দেবেন, তাঁদের তৈরি করতে হবে। তাঁদের নিরাপত্তার কথা ভাবতে হবে। সব স্বাস্থ্যকর্মীর জন্য পর্যাপ্ত পার্সোনাল সেফটি ইকুইপমেন্টের ব্যবস্থা করতে হবে। পর্যাপ্তসংখ্যক টেস্ট কিট সংগ্রহ করতে হবে। হাসপাতালগুলোকে প্রস্তুত করতে হবে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, করোনাভাইরাসের আর্থিক প্রভাব ২০০৭-০৮ সালের বৈশ্বিক আর্থিক সংকট অপেক্ষা ভয়াবহ ও দীর্ঘস্থায়ী হবে। তাই রোগ মোকাবিলার পাশাপাশি অর্থনীতিকে সচল রাখতে হবে। রোগ মোকাবিলার জন্য পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ ছাড়াও ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের দিকে নজর রাখতে এবং প্রয়োজনীয় সহায়তা দিতে হবে। ইতিমধ্যেই আমেরিকান এয়ারলাইনসগুলো সরকারের কাছে ৫০ বিলিয়ন ডলার সহায়তা চেয়েছে। টাইমস অব ইন্ডিয়ায় প্রকাশিত এক সংবাদ থেকে জানা যায়, করোনাভাইরাসজনিত কারণে কেবল বাংলাদেশিদের ভিসা বন্ধ করায় এক মাসে কলকাতা শহরের ক্ষতি হবে ৪৪০ কোটি রুপি। আমাদের দেশের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলো এবং সেখানে কর্মরত দরিদ্র কর্মচারীরা নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। তাঁদের সাহায্যে সরকারকেই এগিয়ে আসতে হবে। এ জন্য অবিলম্বে স্বাস্থ্য খাতের সংকট ও আর্থিক সংকট মোকাবিলায় অবিলম্বে প্রথম পর্যায়ে ২০ হাজার কোটি টাকার একটি সহায়তা তহবিল ঘোষণা করা যেতে পারে। টাকার অঙ্কটি প্রয়োজনের তুলনায় মোটেই বড় নয়। সরকারের বাজেট ও উন্নয়ন প্রকল্পের অপচয় কমিয়ে এর সংস্থান করা সম্ভব। সর্বোপরি প্রকৃত পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করে জনগণকে পরিস্থিতি মোকাবিলায় সম্পৃক্ত করতে হবে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় রাজনৈতিক ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। তা কীভাবে করতে হবে, রাজনীতিবিদেরা তা নির্ধারণ করবেন। আশা করব, বাংলাদেশ যাতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা উল্লিখিত 'উদ্বেগজনক পদক্ষেপ গ্রহণের অভাব' এমন দেশগুলোর অন্তর্ভুক্ত না হয়, যার পরিণতি হবে ভয়াবহ। মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান সাবেক সচিব ও প্রতিষ্ঠাতা সিইও ইডকল []
করোনাভাইরাস
ইতালি করোনা মোকাবিলা করছে লকডাউন পদ্ধতিতে। ছবি: রয়টার্স
opinion
https://www.bd-pratidin.com/international-news/2022/05/21/770851
সাইবার হামলা ঠেকাতে যে উদ্যোগের কথা বললেন পুতিন
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তার দেশের 'প্রযুক্তিগত সার্বভৌমত্বের' আহ্বানের কথা জানিয়েছেন। শুক্রবার তিনি বলেছেন, মস্কো ইউক্রেনে সৈন্য পাঠানোর পর রাশিয়া বারবার সাইবার হামলার শিকার হয়েছে। রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক চলাকালে পুতিন বলেন, "গত ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে মস্কোর সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকে দেশে সাইবার হামলার সংখ্যা কয়েক গুণ বেড়ে গেছে।" এক্ষেত্রে পুতিন বলেন, "বিদেশি প্রোগ্রাম, কম্পিউটার প্রযুক্তি ও টেলিকমিউনিকেশন সরঞ্জামাদির ব্যবহার নিয়ে সম্মিলিত ঝুঁকি একেবারে কমানো প্রয়োজন।" তিনি আরও বলেন, "আমাদের প্রযুক্তিগত সার্বভৌমত্ব জোরদার করার ক্ষেত্রে সরকারের পক্ষে যতদ্রুত সম্ভব একটি আধুনিক রাশিয়ান মৌলিক ভিত্তি গড়ে তোলা জরুরি হয়ে পড়েছে।" সূত্র: এএফপি, তাস, ইউএস নিউজ, আল-আরাবিয়া বিডি প্রতিদিন/কালাম
ইউক্রেন, রাশিয়া, পুতিন, জেলেনস্কি, যুদ্ধ, সাইবার হামলা
ভ্লাদিমির পুতিন
international
https://www.bd-pratidin.com/city-news/2019/10/10/464652
ডিএসসিসির ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্বে মানিক
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন দেশের বাইরে অবস্থান করায় ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হাসিবুর রহমান মানিককে ভারপ্রাপ্ত মেয়র হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। গতকাল বুধবার সি-ফরটি বিশ্ব মেয়র সম্মেলনে যোগ দিতে ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনহেগেনে গেছেন মেয়র সাঈদ খোকন। সাঈদ খোকন মেয়র সম্মেলন উপলক্ষে প্রায় এক সপ্তাহ ডেনমার্কে অবস্থান করবেন। বিডি-প্রতিদিন/ সিফাত আব্দুল্লাহ
null
হাসিবুর রহমান মানিক
national
https://samakal.com/capital/article/19022030/বাংলা-গড়তে-হলে-সোনার-মানুষ-প্রয়োজন-দীপু-মনি
সোনার বাংলা গড়তে হলে সোনার মানুষ প্রয়োজন: দীপু মনি
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, সোনার বাংলা গড়তে হলে সোনার মানুষ প্রয়োজন। আর সোনার মানুষ গড়তে প্রয়োজন মানসম্মত শিক্ষা। শিক্ষার মান আরো উন্নত করার মাধ্যমে দেশকে আরো অনেক দূর এগিয়ে নিতে হবে। শিক্ষার্থীরাই জাতির ভবিষ্যৎ। তাদের ভবিষ্যতের জন্যই সরকার কাজ করে যাচ্ছে। আমাদের আরো অনেক দূর যেতে হবে। বুধবার রাজধানী ঢাকার বেগম বদরুন নেসা সরকারি মহিলা কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা-২০১৯ এর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। ডা. দীপু মনি বলেন, ক্রীড়া প্রতিযোগিতা পড়াশুনা বা জ্ঞান অর্জনেরই অংশ। পড়ালেখার সঙ্গে খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের অংশগ্রহণ করতে হবে। শারীরিক, মানসিক ও আত্মিক সুস্থতার জন্য এগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শরীরচর্চা-ক্রীড়া তাই জ্ঞানচর্চার অবিচ্ছেদ্য অংশ। এগুলো মনের দরজা-জানালা খুলে দেয়। তিনি বলেন, সত্যিকারের জ্ঞান অর্জন করে ভাল মানুষ হিসেবে নিজেদের তৈরি করতে হবে। সততা, দেশপ্রেম, নৈতিকতা- এই বোধগুলো নিজেদের মধ্যে জাগ্রত করতে হবে। বাংলা ভাষাকে নিজের মতো করে পেতে আমাদের প্রাণ দিতে হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাঙালি বীরের জাতি। লড়াই করেই এ জাতি ভাষার অধিকার ও স্বাধীনতা অর্জন করেছে। তাই ভাষার মাসে এর ব্যবহার সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। জগাখিচুড়ি ভাষা পরিহার করতে হবে। শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু-কন্যা শেখ হাসিনা দেশকে বদলে দিয়েছেন। সবাই একটু সচেতন, সজাগ ও সচেষ্ট হলে আমাদের উন্নতি কেউ ঠেকিয়ে রাখতে পারবে না। বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর হোসনে আরা শেফালীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. সোহরাব হোসাইন, বার্ষিক ক্রীড়া কমিটির আহবায়ক প্রফেসর জিনুন নাহার এবং শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নাজমা শাহীন। পরে শিক্ষামন্ত্রী বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।
শিক্ষামন্ত্রী,ডা. দীপু মনি
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি
national
https://www.bd-pratidin.com/country/2019/04/29/419846
উকিল সাত্তার কী করবেন
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে বিএনপি থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য সাবেক ভূমি প্রতিমন্ত্রী উকিল আবদুস সাত্তার ভূইয়া সংসদে যোগ দেওয়ার ব্যাপারে এখনো সিদ্ধান্ত নেননি। রবিবার দুপুরে একথা জানিয়ে তিনি বলেন, সোমবার কথা বলবেন। শপথ তো সোমবার দিন পর্যন্তই নেওয়া যাবে। শনিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন তিনি। জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক খোকন জানান, জেলা বিএনপির সভায় সংসদে উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়ার যোগদান প্রসঙ্গে কোনো কথা হয়নি। তবে তিনি সংসদে যোগ দেবেন না। জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম সিরাজও বলেছেন, তার সংসদে যোগ দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া ৮৩ হাজার ৯৯৭ ভোট পেয়ে একাদশ সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি মঈন উদ্দিন মঈন। তিনি পান ৭৫ হাজার ৪১৯ ভোট। জেলা বিএনপির সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লা কচির সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক খোকনের পরিচালনায় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মুশফিকুর রহমান, কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল আওয়াল, সহকারী সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক আহমেদ, আন্তর্জাতিকবিষয়ক সহ-সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা, নির্বাহী কমিটির সদস্য তকদির হোসেন জসীম প্রমুখ।
null
উকিল আবদুস সাত্তার ভূইয়া
national
https://www.bhorerkagoj.com/2019/01/24/%e0%a6%af%e0%a6%b6%e0%a7%8b%e0%a6%b0%e0%a7%87-%e0%a6%9a%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a6%be%e0%a6%9a%e0%a7%81%e0%a6%b0-%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%95%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a7%87%e0%a6%a4%e0%a6%be%e0%a6%b0/
যশোরে চানাচুর বিক্রেতার ছুরিকাঘাতে যুবলীগ নেতার মৃত্যু
যশোরের অভয়নগর উপজেলায় চানাচুর বিক্রেতার ছুরিকাঘাতে এক যুবলীগ নেতা নিহত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ওই নেতার নাম জাহিদুল ইসলাম খাঁ (৩৫)। তিনি উপজেলার মশরহাটি গ্রামের ইব্রাহিম খাঁর ছেলে ও নওয়াপাড়া পৌরসভার ২নং ওয়ার্ড যুবলীগের সদস্য। নিহত জাহিদুল ইসলাম খাঁর বড় ভাই ওহিদুল খাঁ জানান, দুপুর ২টার সময় উপজেলার মশরহাটি এলাকায় জয়েন্ট ট্রেডিংয়ের ৩নং ঘাটে কাজ করার ফাঁকে চানাচুর কিনে দাম পরিশোধের সময় চানাচুরের দাম নিয়ে বিক্রেতার সঙ্গে জাহিদুলের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে বিক্রেতা তার কাছে থাকা একটি ছুরি দিয়ে জাহিদুল খাঁর বাঁ পাঁজরে আঘাত করে। এতে জাহিদুল খাঁ গুরুতর আহত হন। হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। এলাকাবাসী খবর পেয়ে চানাচুর বিক্রেতা ইমরান হোসেনকে আটক করে মারধর করে পুলিশে সোপর্দ করেছে। তার বাড়ি নড়াইল জেলায়। পুলিশ হাসপাতাল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে। অভয়নগর থানার ওসি আলমগীর হোসেন বলেন, জাহিদুল খাঁর হত্যাকারী চানাচুর বিক্রেতাকে এরই মধ্যে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
null
প্রতিকী
national
https://www.ajkerpatrika.com/166700/%E0%A6%9F%E0%A6%BF%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B0-%E0%A6%AB%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A6%BF-%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A1%E0%A7%87-%E0%A6%9F%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%BE-%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%93%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%85%E0%A6%AD%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A7%8B%E0%A6%97
প্রতিবাদ করায় আ.লীগ নেতাকে হাতুড়িপেটা
কুষ্টিয়ার সদর উপজেলার গোস্বামী দুর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য সেলিম হোসেনের বিরুদ্ধে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি সরওয়ার হোসেনকে হাতুড়ি দিয়ে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে। টিসিবির ফ্যামিলি কার্ড বিতরণে টাকা নেওয়ার প্রতিবাদ করায় সরওয়ারকে হাতুড়িপেটা করা হয় বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সদর উপজেলার ইবি (ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়) থানার গোস্বামী দুর্গাপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর মাগুরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গতকাল শুক্রবার বিকেলে সরওয়ার হোসেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, টিসিবির ফ্যামিলি কার্ড বিতরণের ক্ষেত্রে সদর উপজেলার ইবি (ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়) থানার গোস্বামী দুর্গাপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বর সেলিম হোসেন কার্ড প্রতি ৫০ থেকে ১০০ টাকা করে নিচ্ছিলেন। কয়েকজন ভুক্তভোগী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এর প্রতিবাদ জানিয়ে পোস্ট করেন।এরপর গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে ১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি সরওয়ার হোসেন ইউপি সদস্য সেলিমকে টাকা নিতে বারণ করেন। এ সময় সেলিম ক্ষিপ্ত হয়ে সরোয়ারকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে আহত করেন। পরে স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে চিকিৎসকের কাছে নেন।এ বিষয়ে আওয়ামী লীগ নেতা সরওয়ার হোসেনের বলেন, 'সেলিম গ্রামের সাধারণ মানুষের কাছে থেকে টিসিবির কার্ডের জন্য টাকা নিচ্ছিল। আমি এর প্রতিবাদ করলে সেলিমসহ চারজন মিলে আমাকে ওপর হাতুড়ি ও বাটাম দিয়ে পিটিয়ে আহত করে। এ ঘটনায় আমি ইবি থানায় সেলিমসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছি।'গোস্বামী দুর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লালটু লাল্টু রহমান বলেন, 'সেলিম মেম্বারের টাকা নেওয়ার বিষয়টি শোনার পর আমিও তাঁকে ঢেকে সাবধান করে দিয়েছিলাম। কিন্তু সে কোনো কথা শোনেনি। সেলিম কাজটি ঠিক করেনি।'এ বিষয়ে ইবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, 'এ বিষয়ে আমাদের কাছে একটি অভিযোগ এসেছিল। কিন্তু পরে সিনিয়র নেতারা নাকি সেটি মিটিয়ে দিয়েছে। অভিযোগকারী ফোনে আমাকে মীমাংসার বিষয়ে জানিয়েছেন।'
খুলনা বিভাগ,প্রতিবাদ,অভিযোগ,ছাপা সংস্করণ,যশোর সংস্করণ,যশোর ৭
প্রতিবাদ করায় আ.লীগ নেতাকে হাতুড়িপেটা
national
https://samakal.com/whole-country/article/220297833/৫-ভাইয়ের-পর-রক্তিমও-চলে-গেলেন-না-ফেরার-দেশে
পাঁচভাইয়ের পর রক্তিমও চলে গেলেন
কক্সবাজারের চকরিয়ায় পিকআপ চাপায় গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসাধীন রক্তিম শীলও মারা গেছেন। এর আগে গত ৮ ফেব্রুয়ারিভোরেএকই পিকআপ চাপায় নিহত হন তার পাঁচভাই। এ কয়দিন হাসপাতালে জীবন-মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে অবশেষে তিনিও চলে গেলেন। মঙ্গলবার সকালেচট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ)শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তার বৃদ্ধ মা মনু রানী শীল সমকালকে বিষয়টি জানিয়েছেন। তাদের বাবা সুরেশের মৃত্যু হয় পাঁচ ছেলের মৃত্যুর ১০ দিন আগে। বাবার শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে গিয়ে ফেরার পথেমালুমঘাটা এলাকায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পাশেপিকআপ চাপায় নয় ভাইবোনের মধ্যে পাঁচভাইয়ের মৃত্যু হয়। নিহতরা হলেন, অনুপম শীল (৪৭), নিরূপম শীল (৪৫), দীপক শীল (৪০) ও চম্পক শীল (৩০) ও স্মরণ সুশীল (২৯)। এ দুর্ঘটনায় রক্তিম ও প্লাবন দুইভাই এবং আরেক বোন হীরা আহত হন। এরমধ্যে রক্তিমের অবস্থা ছিল আশঙ্কাজনক। তখনচট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. শেখ ফজলে রাব্বি বলেছিলেন, মেডিসিন, নিউরোসার্জারি, রেসপিরেটরি মেডিসিন, অর্থোপেডিকস ও আইসিইউর পরামর্শকদের সমন্বয়ে একটি মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে রক্তিমের চিকিৎসা পরিচালিত হচ্ছে।তার মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়েছে এবং তিনি অজ্ঞান আছেন। গত ১৩ ফেব্রুয়ারি রক্তিমকে চমেক হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। এর আগে ৮ ফেব্রুয়ারি তাকে চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। এরপর সেখান থেকে তাকে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আইসিইউতে নেওয়া হয়। ওখান থেকে মেডিকেলের আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়েছিল। কয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে পরিবারটির সব স্বপ্ন তছনছ হয়ে গেছে।একসঙ্গেনিহত পাঁচভাইয়ের স্মরণেগত ১১ ফেব্রুয়ারি বিকেলেশ্রাদ্ধ সম্পন্ন হয়। এ হৃদয়বিদারক দৃশ্য দেখে প্রতিবেশীরাও চোখের জল ফেলেন সেদিন। আট ভাই ছিলেন রক্তিমেরা। এক দুর্ঘটনায় রক্তিমসহ চলে গেলেন ছয়জন। এর বছরদুয়েক আগে অসুস্থ হয়ে মারা যান আরেক ভাই।সবার ছোট প্লাবন এবার এইচএসসি পাস করেছেন। তিনি দুর্ঘটনায় সামান্য আহত হন। ইতোমধ্যে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন তিনি।
মৃত্যু,রক্তিম সুশীল,সড়ক দুর্ঘটনা,পাঁচভাইয়ের মৃত্যু,চট্টগ্রাম,কক্সবাজার,চকরিয়া
রক্তিম শীল
national
https://www.bhorerkagoj.com/2021/08/17/%e0%a6%ac%e0%a6%99%e0%a7%8d%e0%a6%97%e0%a6%ac%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a7%e0%a7%81%e0%a6%b0-%e0%a6%96%e0%a7%81%e0%a6%a8%e0%a6%bf-%e0%a6%a8%e0%a7%82%e0%a6%b0-%e0%a6%9a%e0%a7%8c%e0%a6%a7%e0%a7%81/
বঙ্গবন্ধুর খুনি নূরকে কানাডা থেকে ফেরত চেয়েছে সরকার
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত নূর চৌধুরীকে ফেরত চেয়েছে সরকার। বর্তমানে কানাডায় পলাতক রয়েছেন এই আত্মস্বীকৃত খুনি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন কানাডার আন্তর্জাতিক উন্নয়নবিষয়ক মন্ত্রী ক্যারিনা গোল্ডের সঙ্গে ভার্চুয়াল এক বৈঠকে খুনি নূর চৌধুরীকে ফেরত দেওয়ার অনুরোধ জানান। বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, বৈঠকে কানাডার মন্ত্রী ক্যারিনা গোল্ডের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন। বৈঠকে রোহিঙ্গাদের সহায়তার জন্য কানাডাকে ধন্যবাদ জানান তিনি। একইসঙ্গে রোহিঙ্গা গণহত্যা নিয়ে আন্তর্জাতিক আদালতে গাম্বিয়া যে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে, সেখানে গাম্বিয়াকে সহায়তার জন্য কানাডার প্রতি অনুরোধ জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। ড. মোমেন বৈঠকে রোহিঙ্গাদের টিকা দেওয়ার বিষয়ে অবহিত করেন। এ সময় রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরাতে কানাডার সহায়তা চান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। গত ১০ আগস্ট থেকে তিন দিনব্যাপী ভার্চুয়ালি ঢাকা সফর করছেন কানাডার মন্ত্রী ক্যারিনা গোল্ড। এই ভার্চুয়াল সফরে মন্ত্রী বাংলাদেশের সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন পর্যায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা করছেন। বাংলাদেশে কানাডার উন্নয়ন প্রকল্প ও দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নিয়েও আলোচনা হচ্ছে।
কানাডা,নূর চৌধুরী,পররাষ্ট্রমন্ত্র,বঙ্গবন্ধুর খুনী,িকানাডা
নূর চৌধুরী
national
https://www.ajkerpatrika.com/197483/%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%AC%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A6%95-%E0%A6%85%E0%A6%9A%E0%A7%87%E0%A6%A4%E0%A6%A8-%E0%A7%A7%E0%A7%A6-%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%96-%E0%A6%9F%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%BE-%E0%A6%93-%E0%A6%A8%E0%A7%88%E0%A6%B6%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%B9%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%89%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%93
ব্যবস্থাপক অচেতন, ১০ লাখ টাকা ও নৈশপ্রহরী উধাও
মেহেরপুরে সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের কার্যালয়ে চুরির ঘটনা ঘটেছে। গত শনিবার দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটে।কুরিয়ার সার্ভিসের কর্মচারীরা জানান, চুরির সঙ্গে জড়িত নৈশপ্রহরী সোহাগ হোসেন। তিনি কোমল পানীয়র সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে ব্যবস্থাপককে অজ্ঞান করে ১০ লাখ টাকা নিয়ে পালিয়েছেন। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে পুলিশও বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস মেহেরপুর কার্যালয়ের কর্মচারীদের সূত্রে জানা গেছে, নৈশপ্রহরীর দায়িত্বে থাকা সদর উপজেলার ঝাউবাড়িয়া-বাববরপাড়া গ্রামের সোহাগ হোসেন এ চুরির সঙ্গে জড়িত। কার্যালয়ের ক্যাশ কাউন্টারের ৪টি ড্রয়ারে প্রতিদিনের লেনদেন হিসাবে এ টাকাগুলো গচ্ছিত ছিল।কর্মচারীরা জানান, সকাল ৯টার দিকে তাঁরা অফিসে আসেন। অফিসের সময় শুরুর পরেও ব্যবস্থাপক ঘুমিয়ে থাকায় তাঁদের সন্দেহ হয়। পরে ব্যবস্থাপকের কক্ষে গিয়ে ধাক্কা দিয়ে তাঁকে জাগাতে পারেননি। অনেক ডাকাডাকির ও দরজা ধাক্কার পর ঘুম ভাঙে তাঁর। এরপর ড্রয়ারগুলো ভাঙা অবস্থায় দেখতে পান সবাই।এরপর কার্যালয়ের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পরীক্ষা করে সোহাগের চুরির বিষয়টি নিশ্চিত হন। নৈশপ্রহরী আর ব্যবস্থাপক কার্যালয়ে রাত্রিযাপন করেন বলেও জানান তাঁরাব্যবস্থাপক রুবেল বলেন, 'শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে কোমল পানীয় পান করতে দেয় সোহাগ। খাওয়ার পরই ঘুমিয়ে পড়ি।'কার্যালয়ের কর্মচারীরা জানান, সোহাগের চাচা ইলিয়াস হোসেন এ কার্যালয়ে নৈশপ্রহরী। তাঁর অনুপস্থিতে মাঝেমধ্যেই সোহাগ সেখানে দায়িত্ব পালন করে থাকেন। শনিবার রাতেও সোহাগ দায়িত্বে ছিলেন।মেহেরপুর সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহ দারা বলেন, 'সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে সোহাগের চুরির সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। তাঁকে আটকের চেষ্টা চলছে। এর সঙ্গে আরও কেউ জড়িত আছে কি না খতিয়ে দেখছি।'
খুলনা বিভাগ,চুরি,ছাপা সংস্করণ,যশোর সংস্করণ,যশোর ৭
ব্যবস্থাপক অচেতন, ১০ লাখ টাকা ও নৈশপ্রহরী উধাও
national
https://www.bd-pratidin.com/international-news/2022/01/30/735883
রাশিয়া আক্রান্ত হলে যুদ্ধে জড়াবে বেলারুশ
ইউক্রেনের উত্তরাঞ্চলীয় প্রতিবেশী দেশ বেলারুশের সঙ্গে যৌথ সামরিক মহড়া চালাতে দেশটিতে সেনা পাঠাতে শুরু করেছে রাশিয়া। এদিকে বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কো হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, রাশিয়াকে আক্রমণ করা হলে তার দেশ মস্কোর পক্ষে যুদ্ধে অবতীর্ণ হবে। খবর পার্সটুডের। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় শনিবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি বেলারুশে দু'দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে ১১ দিনব্যাপী যৌথমহড়া শুরু হবে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এরই মধ্যে অন্তত ২০ হাজার রুশ সৈন্য বেলারুশে প্রবেশ করেছে। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে প্রকাশ করা ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, ট্যাংক, সাঁজোয়া যান ও অন্যান্য ভারী রুশ সমরাস্ত্র বেলারুশে প্রবেশ করছে। এর আগে বেলারুশের প্রেসিডেন্ট লুকাশেঙ্কো গত শুক্রবার বলেছিলেন, রাশিয়া আক্রান্ত হলে তার দেশ যুদ্ধে জড়াবে। তিনি আরও বলেন, আমেরিকা ও তার মিত্ররা রাশিয়ায় হামলা করলে বেলারুশে লাখ লাখ সেনা মোতায়েন করার সুযোগ দেওয়া হবে। তিনি সতর্ক করে আরো বলেন, সেরকম যুদ্ধে কেউ জয়লাভ করবে না বরং সবাই সবকিছু হারাবে। বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ
null
বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কো
international
https://www.bd-pratidin.com/international-news/2022/04/24/763304
ইউক্রেনকে যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া সমরাস্ত্র 'ফিনিক্স ঘোস্ট' আসলে কী?
ইউক্রেনেসেনা অভিযানে নতুন লক্ষ্যে এগোচ্ছে রাশিয়া। এবার গোটা ইউক্রেন নয় রুশপন্থীদের আধিক্যে থাকা পূর্ব ইউক্রেন নিয়ন্ত্রণে নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে মস্কো। ওইসব এলাকায় তাই হামলার পরিমাণও বাড়ানো হয়েছে। আর রাশিয়ার সেনাদের এমন আধিপত্য রুখতে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীকে নতুন করে অস্ত্রশস্ত্র দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মার্কিন প্রশাসন। সবশেষ ঘোষণা করা সহায়তার আওতায় ইউক্রেনকে ৮০০ মিলিয়ন ডলার মূল্যের সামরিক সরঞ্জাম পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এই চালানে নতুন এক ধরনের সামরিক অস্ত্র থাকছে, যা নতুন কৌতূহলের জন্ম দিয়েছে। অজ্ঞাতনামা এই আকাশচারী অস্ত্র বা ড্রোনটিকে ডাকা হচ্ছে 'ফিনিক্স ঘোস্ট'। কিরবি আরও বলেন, 'পাহাড়ের খাঁজে অবস্থান করালক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানোর সক্ষমতা রয়েছে ফিনিক্স ঘোস্টের।' তবে ড্রোনটির সক্ষমতা নিয়ে বিস্তারিত কিছুই জানাননি কিরবি। তিনি আরওজানিয়েছেন, এখনও ইউক্রেনের হাতে ড্রোনটি পৌঁছায়নি। শিগগিরই ড্রোনটি ইউক্রেন পেতে যাচ্ছে বলে তার কথায় ইঙ্গিত রয়েছে। সূত্র: আল জাজিরা বিডি প্রতিদিন/নাজমুল
ফিনিক্স ঘোস্ট, ইউক্রেন-রাশিয়া, ড্রোন, যুক্তরাষ্ট্র
ড্রোন।-
international
https://www.bhorerkagoj.com/2020/06/29/%e0%a6%95%e0%a6%b0%e0%a7%8b%e0%a6%a8%e0%a6%be-%e0%a6%b6%e0%a6%a8%e0%a6%be%e0%a6%95%e0%a7%8d%e0%a6%a4%e0%a7%87-%e0%a6%a8%e0%a6%a4%e0%a7%81%e0%a6%a8-%e0%a6%af%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a4%e0%a7%8d/
করোনা শনাক্তে নতুন যন্ত্র সরবরাহ সিঙ্গাপুরে
করোনা ভাইরাসের প্রকোপ কমাতে নাগরিগদের মধ্যে নতুন ব্লুটুথ যন্ত্র সরবরাহ শুরু করেছে সিঙ্গাপুর। মোবাইল এ্যাপের বিকল্প হিসেবে নতুন করে যন্ত্রের মাধ্যমে নমুনা পরীক্ষার ব্যবস্থা করছে সরকার। যদের মোবাইল ফোন নেই তাদের জন্যে এ যন্ত্র ব্যবহারের চিন্তা করছে সরকার। তবে প্রাইভেসির ক্ষেত্রে কিছু প্রশ্ন রয়েছে। প্রথম দফায় বয়স্কদের মাঝে এ যন্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। যাদের পক্ষে মোবাইল চালানো সম্ভব না কিংবা চলাচলে যাদের সহায়তা করার লোকজন নেই তাদের জন্যে। এ যন্ত্রে চার্জও দিতে হবে না কারণ এতে নয় মাসের জন্য চার্জ দেয়া আছে। আশেপাশের মোবাইলের এ্যাপ দ্বারা ব্লুটুতের মাধ্যমে এ এ্যাপ কাজ করবে। কেউ করোনায় আক্রান্ত হলে স্বাস্থ্য কর্মবর্তাকে নোটিশ পাঠাবে এ্যাপটি। তাছাড়া রোগীর সকল তথ্য ডাউনলোড হয়ে যাবে। এক্ষেত্রে প্রাইভেসি নিয়ে প্রশ্ন উঠলেও সরকার বলছে তারা অবস্থান শনাক্ত করতে এ এ্যাপ ব্যবহার করছে না। তাছাড়া ২৫ দিন পর এসব তথ্য মুছে যাবে ভরেও জানায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
করোনা,টেস্ট,নমুনা,যন্ত্র,সিঙ্গাপুর
করোনা শনাক্তে নতুন যন্ত্র
international
https://www.ajkerpatrika.com/49318/%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AC%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A6%95-%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A7%9C%E0%A7%87%E0%A6%9B%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%9A%E0%A6%95-%E0%A6%9A%E0%A7%87%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%A8
বিমানবন্দরে মাদক পাচার বেড়েছে: বেবিচক চেয়ারম্যান
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম মফিদুর রহমান বলেছেন, হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সহ বিভিন্ন বিমানবন্দরে মাদক পাচার বেড়ে গেছে। বিভিন্ন বিমানবন্দর দিয়ে মাদক চোরা চালান হচ্ছে। সবাই মিলে এসব প্রতিহত করতে হবে। আমরা জোরালো ব্যবস্থা নিচ্ছি, কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।আজ সোমবার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাত্রীদের অভিযোগ নিয়ে করা গণশুনানিতে বেবিচক চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন।মফিদুর রহমান বলেন, অনেকের লাগেজে মাদক পাওয়া যাচ্ছে। অনেক যাত্রী দাবি করেন, অন্য কেউ স্বজনের জন্য মালামাল পাঠানোর নামে মাদক ঢুকিয়ে দিয়েছেন। এই ধরনের বক্তব্য আমরা গ্রহণ করব না। আপনারা নিজস্ব লাগেজ ছাড়া অন্য কারও কাছ থেকে কিছু নেবেন না। কারও সঙ্গে যদি মাদক পাওয়া যায়, তাহলে তাঁদের আজীবনের জন্য বিদেশ যাওয়া বন্ধ হয়ে যাবে। আপনারা সচেতন হবেন, যাতে কেউ ভুক্তভোগী না হন।বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, 'যাত্রীদের আট ঘণ্টা আগে আসতে হবে। তাহলে এই সময়ে করোনা টেস্টসহ যাবতীয় কার্যক্রম শেষ করা যাবে। এখানে এসে বললে হবে না। ট্রাফিকের জন্য মিস করেছি। তাহলে সমস্যা তৈরি হবে। যারা সমস্যায় পড়েছেন, তাঁদের সহযোগিতা করা হবে।'আগের দুই গণশুনানির সমস্যা সমাধান করা হয়েছে জানিয়ে এম মফিদুর রহমান বলেন, ট্রাভেল এজেন্সি নিয়ে অনেক অভিযোগ ছিল, সেগুলো সংশ্লিষ্টদের জানিয়েছি। এ ছাড়া বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যাপারেও আমরা সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছি।বেবিচকের তথ্যমতে, গণশুনানিতে ১৪ জন প্রবাসী তাঁদের সমস্যা ও অভিযোগ তুলে ধরেন। সমস্যার মধ্যে রয়েছে করোনা টেস্টে ভোগান্তি, এয়ারলাইনসের অসহযোগিতায় ফ্লাইট মিস, বিমানবন্দর কর্মীদের খারাপ ব্যবহার ইত্যাদি।গণশুনানিতে বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এএইচএম তৌহিদ-উল আহসানসহ বিভিন্ন এয়ারলাইনসের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
মাদক,মাদকদ্রব্য,বেবিচক,বিমানবন্দর,ঢাকা
বিমানবন্দরে যাত্রীদের অভিযোগ নিয়ে করা গণশুনানি।
national
https://www.bhorerkagoj.com/2020/02/03/%e0%a6%a5%e0%a6%be%e0%a6%aa%e0%a7%8d%e0%a6%aa%e0%a7%9c-%e0%a6%a8%e0%a6%bf%e0%a7%9f%e0%a7%87-%e0%a6%86%e0%a6%b8%e0%a6%9b%e0%a7%87%e0%a6%a8-%e0%a6%a4%e0%a6%be%e0%a6%aa%e0%a6%b8/
'থাপ্পড়' নিয়ে আসছেন তাপসী
সুপারস্টার তকমা নেই তবুও একের পর এক আলোচিত সিনেমা উপহার দিয়ে যাচ্ছেন। সর্বশেষ 'সান্দ কি আঁখ' সিনেমায় অভিনয় করে দর্শকদের মন জয় করেছেন তাপসী পান্নু। এবার নারীপ্রধান এক চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। অনুভব সিনহার পরিচালনায় 'থাপ্পড়' নামক একটি সিনেমায় দেখা যাবে তাপসীকে। নতুন এই সিনেমা নিয়ে তাপসী বলেন, 'পিঙ্ক' সিনেমাটির মতো 'থাপ্পড়'ও নারীবাদী কাহিনীনির্ভর একটি সিনেমা হতে যাচ্ছে। সেই সঙ্গে আশা রাখছি 'পিঙ্ক' এর মতো 'থাপ্পড়' দর্শকদের পছন্দ হবে এবং বক্স অফিসে সাড়া জাগাবে। এর মধ্যে গত শুক্রবার মুক্তি পায় সিনেমার ট্রেলার। ট্রেলার প্রকাশের পর থেকে প্রশংসায় ভাসছেন তাপসী ও তার থাপ্পড়। সিনেমাটিতে তাপসী পান্নু ছাড়াও অভিনয় করছেন রত্না পাঠক শাহ, মানব কৌল, দিয়া মির্জা, তানভি আজমি, রাম কাপুরসহ আরো অনেকেই। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি সিনেমাটি মুক্তি পাওয়ার কথা। এদিকে ভারতের সাবেক অধিনায়ক মিতালি রাজকে নিয়ে রাহুল ঢোলাকিয়ার 'সাবাস মিঠু' সিনেমাতে অভিনয় করছেন তাপসী পান্নু। সিনেমাতে মিতালি রাজের ভ,মিকায় রয়েছেন তিনি। সিনেমাটি আগামী বছরের ৫ ফেব্রুয়ারিতে মুক্তি পাওয়ার লক্ষ্য নিয়ে নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে।
আলোচিত,তাপসী পান্নু,থাপ্পড়,সান্দ কি আঁখ,সুপারস্টার
তাপসী পান্নু।
entertainment
https://www.bd-pratidin.com/mixter/2017/11/19/281993
ভিনগ্রহের প্রাণী হতে গিয়ে পুরুষাঙ্গ বাদ দিতে চান মার্কিন যুবক!
পর পর প্লাস্টিক সার্জারি করেই চলেছেন বছর বাইশের যুবক ভিনি ওহ। কারণ তিনি এমন এক লুক আনতে চান, যাতে তাকে ভিন্নগ্রহের প্রাণী বলে মনে হয়। এখানেই শেষ নয়, তিনি সম্প্রতি জানিয়েছেন যে, তার উদ্দেশ্য পূরণের জন্য তিনি তার পুরুষাঙ্গও কেটে বাদ দিতে চান। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার বাসিন্দা ভিনি ওহ ১৭ বছর বয়স থেকে শুরু করেন চেহারা বদলাতে। প্রথমে ঠোঁট, তারপর গাল ও ভুরু বদলান প্লাস্টিক সার্জারি করে। এরপরে ভিনি ধারণ করেন বিদঘুটে কালো রংয়ের কন্ট্যাক্ট লেন্স, চুল রাঙিয়েছেন বিচিত্র বর্ণে। এবারে সবকিছু অতিক্রম করে তিনি ১৩০,০০০ পাউন্ড খরচ করে নিজের শরীর থেকে যৌনাঙ্গ বাদ দিতে চান। বাদ দিতে চান স্তনাগ্র, এমনকী নাভিও। ভিনি আরও বলেন, এক বিশুদ্ধ 'আমি' হতে গেলে সর্বাগ্রে প্রয়োজন, নিজের স্বতন্ত্র অস্তিত্ব ঘোষণা আর জেন্ডারের অবলোপ। তার এই 'আমি' হয়ে ওঠার ব্যাপারটাকে পাবলিক সবসময়ে ভাল ভাবে নেয় না। বহুবারই আমাকে হেনস্থা হতে হয়েছে। কিন্তু অনেক জায়গাতেই পেয়েছি সমাদর ও স্বীকৃতি। বিডি প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ তাফসীর
null
বিচিত্র চেহারায় ভিনি। ।
miscellaneous
https://www.ajkerpatrika.com/89316/%E0%A6%86%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%B9%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A7%8B%E0%A6%A7%E0%A7%80-%E0%A6%AA%E0%A7%82%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A3%E0%A6%A6%E0%A7%88%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%98%E0%A7%8D%E0%A6%AF-%E0%A6%9A%E0%A6%B2%E0%A6%9A%E0%A7%8D%E0%A6%9A%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0
আত্মহত্যাবিরোধী পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র
ছোটখাটো কারণে অনেকেই বেছে নেন আত্মহত্যার পথ। গত এক বছরেই দেশে আত্মহত্যার সংখ্যা প্রায় ১৫ হাজার। এ বিষয়ে সচেতনতা তৈরিতে এবার তৈরি হচ্ছে আত্মহত্যাবিরোধী পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র। নাম 'জীবন পাখি'।গত শুক্রবার থেকে রাজশাহীর বিভিন্ন লোকেশনে ছবির শুটিং শুরু হয়েছে। কাহিনি, সংলাপ, চিত্রনাট্য ও পরিচালনায় রয়েছেন আসাদ সরকার। তিনি একজন টিভি নাট্যকার হলেও প্রথমবারের মতো পূর্ণদৈর্ঘ্য ছবি নির্মাণ করছেন। ছবিটি প্রযোজনা করছে 'জলছবি মিডিয়া'।ছবির কেন্দ্রীয় চরিত্রে রয়েছেন করছেন আজাদ আবুল কালাম। প্রধান নারী চরিত্রে অভিনয় করছেন মোহনা মীম। তিনি পড়াশোনা করেছেন রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে।বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন ভারতীয় টিভি চ্যানেল স্টার জলসার 'আমি সিরাজের বেগম' ধারাবাহিকে গুলশানারা চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকপ্রিয়তা পান। এরপর নৃত্যশিল্পী হিসেবে চ্যানেল আই সেরা নাচিয়ে সিজন ১-এর চ্যাম্পিয়ন হন। ২০১৫ সালে 'লালচর' ছবির প্রধান নারী চরিত্রে অভিনয় করেন মীম।'জীবন পাখি' ছবিতে বিশেষ চরিত্রে দেখা যাবে সংগীতশিল্পী ফাতেমা তুজ জোহরা, মীরাক্কেল তারকা আবু হেনা রনি ও ক্লোজআপ-১ তারকা মুহিন খানকে। একটি মুখ্য চরিত্রে আছেন সুজন হাবিব। অন্যান্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন শহীদুল আলম সাচ্চু, সঞ্জীব আহমেদ, আজিজুন মীমসহ অনেকেই।পরিচালক আসাদ সরকার বলেন, 'ছোট ছোট সমস্যায় মানুষ আত্মহত্যা করে। অথচ এসব সমস্যা সমাধানযোগ্য। ছবিটি সেই সমাধানের কথা বলবে। আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি দেওয়ার লক্ষ্য রেখে কাজ করছি। ওটিটি প্ল্যাটফর্মেও মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনা আছে।'২০১৯ সালে আসাদ সরকারের স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র 'নারী জীবন' জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পায়।
বিনোদন,রাজশাহী,ছাপা সংস্করণ,আজকের বিনোদন
(বাঁ থেকে) মুহিন খান, আজিজুন মীম, সুজন হাবিব ও মোহনা মীম পরিচালকের সৌজন্যে
national
https://www.bd-pratidin.com/entertainment/2021/02/18/619950
করোনার টিকা নিলেন ফজলুর রহমান বাবু
করোনাভাইরাসের টিকা নিয়েছেন অভিনেতা ফজলুর রহমান বাবু। বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর একটি হাসপাতালে উপস্থিত হয়ে টিকা নিয়েছেন বাবু। টিকা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও স্বাস্থ্যকর্মীদের ধন্যবাদ দিয়েছেন তিনি। এরপরফেসবুকে তিনি লেখেন, 'যথাযথ পরিবেশ ও চমৎকার ব্যবস্থাপনা। ধন্যবাদ সকল স্বাস্থ্যকর্মীকে। ধন্যবাদ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী।'
null
ফজলুর রহমান বাবু
entertainment
https://www.prothomalo.com/lifestyle/recipe/নারকেলের-দুধে-আমড়া-ইলিশ
নারকেলের দুধে আমড়া ইলিশ
উপকরণ: ইলিশ মাছ এক কেজি ওজনের একটি, নারকেলের দুধ ২ কাপ, আমড়া কোরানো ১ কাপ, পেঁয়াজ বেরেস্তা ১ কাপ, আদা, পেঁয়াজ ও রসুন বাটা ১ টেবিল চামচ, হলুদ, মরিচ, জিরা ও ধনে গুঁড়া ১ চা-চামচ, সরিষার তেল ১ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, চিনি ১ টেবিল চামচ, কাঁচা মরিচ ৫-৬টি। প্রস্তুত প্রণালি: প্রথমে মাছ টুকরা করে তেল দিয়ে হালকা ভেজে তুলে নিতে হবে। এরপর আধা কাপ পেঁয়াজ বেরেস্তা দিয়ে বাটা মসলা, গুঁড়া মসলা, লবণ ও সামান্য পানি দিয়ে মসলা কষিয়ে আমড়া দিয়ে ভালো করে কষিয়ে নিতে হবে। এতে নারিকেলের দুধ ঢালতে হবে। সেটা অর্ধেক শুকিয়ে এলে এতে মাছ ও কাঁচা মরিচ দিয়ে দিতে হবে। যখন তেল ছেড়ে আসবে, তখন বাকি বেরেস্তা ও চিনি দিয়ে ৫ মিনিট ঢেকে রেখে নামিয়ে মনের মতো করে পরিবেশন করতে পারবেন।
খাবারদাবার,রেসিপি
নারকেলের দুধে আমড়া ইলিশ
life-health