news_link
stringlengths
42
523
head_lines
stringlengths
2
121
article
stringlengths
1
58.1k
tags
stringlengths
1
285
image_caption
stringlengths
1
1.86k
category
stringclasses
13 values
https://samakal.com/capital/article/19021550/ঘটনা-তদন্তে-কমিটি
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা তদন্তে কমিটি
রাজধানীর পুরান ঢাকার চকবাজারে লাগা আগুনের ঘটনা তদন্তে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে গঠন করা ফায়ার সার্ভিসের তিন সদস্যের এ তদন্ত কমিটিকে আগামী সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদনে জমা দিতে হবে। ঘটনাস্থলে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক (অপারেশন অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স) মেজর একেএম শাকিল নেওয়াজ এক ব্রিফিংয়ে এতথ্য জানান। তিনি জানান, অগ্নিকাণ্ডে ৭০টি মরদেরহ উদ্ধার হয়েছে। ৪১ জন আহত হয়েছেন। আগুনের কারণ এখনও জানা যায়নি। তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। অগাামী সাত দিনের মধ্যে কমিটিকে প্রতিবেদন দিতে হবে। এদিকে ওই আগুনে নিহতদের অধিকাংশকেই শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। আহত হয়েছেন প্রায় অর্ধশতাধিক মানুষ; খোঁজ নেই অনেকের। নিহতদের মধ্যে ৬২ জন পুরুষ, পাঁচজন নারী ও তিনটি শিশু রয়েছে বলে একটি সূত্র জানিয়েছে। বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে চুড়িহাট্টা মসজিদের পাশে হাজী ওয়াহেদ মিয়ার বাড়িতে আগুনের সূত্রপাত হয়। পরে আশপাশের আরও চারটি ভবনে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এরপর ফায়ার সার্ভিসের ৩৭টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। রাতেই দগ্ধ-আহতদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও মিটফোর্ড হাসপাতালে নেওয়া শুরু হয়। দগ্ধ, আহত ও তাদের স্বজনের কান্নায় হাসপাতালের পরিবেশ ভারী হয়ে ওঠে। ঘটনাস্থল থেকে রাত ২টার দিকে ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া সমকালকে বলেন, চারটি ভবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। বডি স্প্রের গুদাম থাকায় একটি ভবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি। তবে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এর আগে ২০১০ সালের ৩ জুন পুরান ঢাকার নিমতলীতে কেমিক্যালের গুদামে ভয়াবহ আগুনের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় ১২৪ জনের মৃত্যু হয়।
চকবাজার,আগুন
আগুন লাগ ভবনে ফায়ার সার্ভিসের তৎপরতাআব্দুর রাজ্জাক সরকার
national
https://samakal.com/whole-country/article/210355980/রাজশাহীতে-জামায়াতশিবিরের-১৭-নেতাকর্মী-আটক
রাজশাহীতে জামায়াত-শিবিরের ১৭ নেতাকর্মী আটক
রাজশাহী নগর পুলিশ অভিযান চালিয়ে জামায়াত ও শিবিরের ১৭ নেতাকর্মীকে আটক করেছে। মঙ্গলবার নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানা ও নগর ডিবি পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে। নগর পুলিশের মুখপাত্র গোলাম রুহুল কুদ্দুসের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। বোয়ালিয়া থানা পুলিশের অভিযানে আটকরা হলেন- মোফাজ্জল হোসেন (৬২), মাহবুবুল আলম কাজল (৪৭), বেলাল হোসেন (৪৫), মো. আব্দুল্লাহ (২৩), আব্দুল হক (৪৪), জিয়াউল হক (২৬), হযরত আলী, মাহবুব হোসাইন (৩০), মো. মাহফুজ (৩২), মুরাদ হোসেন লাভলু (৩৭), মনিরুল ইসলাম মনির (২৪)। তারা সকলেই নগরীর বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা। পুলিশ জানিয়েছে, আটকদের কাছ থেকে জিহাদি বই, চাকু, ছোরা, চাপাতি ও হাসুয়া উদ্ধার হয়েছে। অন্যদিকে নগর গোয়েন্দা পুলিশের অভিযানে আটকরা হলেন- নগর ছাত্রশিবিরের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আরমান আলী, আব্দুল আল মোস্তফা (৪৫), মো. শামীম (২৫), রবিউল ইসলাম (৪৮), সামাউল কবির (৩৬), রমজান আলী (২৭), মো. রুম্মান (২৭)। আটকদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানান নগর পুলিশের মুখপাত্র গোলাম রুহুল কুদ্দুস।
জামায়াত,শিবির,জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মী আটক
অভিযানে আটকরা
national
https://www.dailynayadiganta.com/dhaka/386337/নাগঞ্জে-ভুয়া-ডাক্তারের-কারাদণ্ড-হাসপাতাল-সিলগালা-
না'গঞ্জে ভুয়া ডাক্তারের কারাদণ্ড, হাসপাতাল সিলগালা
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে একটি বেসরকারি হাসপাতালে মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে অভিযান চালিয়েছে র্যাব। এসময় ভুয়া এক নারী ডাক্তারকে আটক করা হয়। ফাহামিদা আলম নামে ওই ভুয়া এমবিবিএস ডাক্তারকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ৬ মাসের কারাদ- দেয়া হয়। পরে হাসাপাতালটি সিলগালা করা দেয়া হয়। মঙ্গলবার রাত ১১টায় কদমতলীপুল এলাকায় অবস্থিত এম জেনারেল হাসপাতালে অভিযান চালায় ওই ভুয়া নারী ডাক্তারকে আটক করে র্যাব-১১। র্যাব-১১'র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জসিম উদ্দিন জানান, সিদ্ধিরগঞ্জের কদমতলী এম হোসেন জেনারেল হাসপাতাল নামের পাশে পদবীর ডিগ্রী হিসেবে লেখা 'এমবিবিএস, এফসিপিএস'। নিজেকে অভিজ্ঞ ডাক্তার পরিচয়েই দিনে পর দিন তিনি রোগীদের সাথে প্রতারণা করে আসছিলেন ফাহমিদা। ডাক্তার পরিচয় দিলেও দেখাতে পারেনি কোনো সনদপত্র। তিনি যে হাসপাতালে বসেন সেই হাসপাতালেরও নেই প্রয়োজনীয় কোনো নথিপত্র। পরে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আনিসুল ইসলামের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ফাহমিদা আলমকে ছয় মাসের কারাদণ্ড ও একই সাথে এম হোসেন জেনারেল হাসপাতালকে সিলগালা করা হয়।
হাসপাতাল,চিকিৎসা,নারায়ণগঞ্জ
র্যাবের হাতে আটক ফাহমিদা
national
https://www.prothomalo.com/politics/দুর্নীতিবাজকে-প্রার্থী-করেছে-বিএনপি-হাছান-মাহমুদ
দুর্নীতিবাজকে প্রার্থী করেছে বিএনপি: হাছান মাহমুদ
আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া 'দুর্নীতিবাজ' বলেই আরেকটি দুর্নীতিবাজ পরিবারের সদস্যকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) উপনির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে তিনি পছন্দ করেছেন।আজ মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির স্বাধীনতা হলে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে হাছান মাহমুদ এ মন্তব্য করেন। 'বর্তমান সরকারের সাফল্যের নয় বছর ও আগামী সংসদ নির্বাচনে প্রজন্মের করণীয়' শীর্ষক আলোচনা সভাটির আয়োজন করে আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগ।হাছান মাহমুদ বলেন, খালেদা জিয়ার পরিবার দুর্নীতিগ্রস্ত। তাঁদের দুর্নীতি এফবিআই উদ্ঘাটন করেছে। সিঙ্গাপুরে তাঁদের দুর্নীতি ধরা পড়েছে। দুর্নীতির মাধ্যমে পাচারকৃত অর্থ বাংলাদেশে ফেরত আনা হয়েছে। তাই নিজের মতো আরেকটি 'দুর্নীতিবাজ' পরিবারের সদস্যকে ডিএনসিসি উপনির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে পছন্দ করেছেন। হাছান মাহমুদ দাবি করেন, শুধু তাবিথ আউয়ালের নাম নয়, অর্থ পাচারকারী হিসেবে তাঁর মা-বাবাসহ পুরো পরিবারের নাম এসেছে পানামা পেপারসে। তিনি আরও বলেন, বিএনপিতে এত প্রার্থী রেখে একজন 'অর্থ পাচারকারী'কে কেন বেছে নিল বিএনপি? নিশ্চয় এই অর্থ পাচারের সঙ্গে খালেদা জিয়া ও তাঁর পরিবারের সংযোগ আছে। সে কারণে তিনি এই ধরনের প্রার্থী বেছে নিয়েছেন। সিটি করপোরেশন উপনির্বাচনে ঢাকার মানুষ দুর্নীতিবাজ, অর্থ পাচারকারীকে ভোট দেবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি। এ সময় সিপিডির সমালোচনা করে হাছান মাহমুদ বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নয় বছরে বাংলাদেশ বদলে গেছে। বাংলাদেশ এখন ৩৮তম অর্থনীতির দেশ। যেখানে বিশ্বব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ থেকে শুরু করে নোবেল বিজয়ী অমর্ত্য সেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বাংলাদেশের প্রশংসা করেছেন। তিনি অভিযোগ করেন, শুধু বিএনপি ও খালেদা জিয়া এবং সিপিডি সরকারের প্রশংসা করতে পারছে না। কারণ সিপিডির সঙ্গে যুক্ত বিএনপি নেতাদের কয়েকজন এক-এগারো সরকারের সুবিধাভোগী ছিলেন। আবারও তাঁরা পানি ঘোলা করতে চান। খালেদা জিয়া সেই ঘোলা পানিতে মাছ স্বীকার করতে চান। তাঁদের উদ্দেশ্য হচ্ছে এক-এগারোর মতো একটি সরকার গঠন করে পানি ঘোলা করা। তাঁরা গণতন্ত্র চান না। আয়োজক সংগঠনের সভাপতি আসাদুজ্জামান দুর্জয়ের সভাপতিত্বে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নুরুল আমিন রুহুল, মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের কার্যকরী সদস্য মিনহাজ উদ্দিন প্রমুখ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপি,রাজনীতি,খালেদা জিয়া,সিটি করপোরেশন নির্বাচন,আওয়ামী লীগ
হাছান মাহমুদ। প্রথম আলো ফাইল ছবি।
politics
https://www.ajkerpatrika.com/7723/%E0%A6%A1%E0%A6%BF%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%96%E0%A7%8B%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%86%E0%A6%81%E0%A6%95%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A7%81%E0%A6%81%E0%A6%95%E0%A6%BF
ডিমের খোসায় আঁকিবুঁকি
ঢাকা: সকালে ডিম পোচ করার পর আম্মুকে বলো খোসাগুলো রেখে দিতে। এগুলো দিয়ে মজার সব জিনিস বানানো যায়। তবে সে জন্য ডিম মাঝখান থেকে না ভেঙে যেকোনো একদিকে ছিদ্র করে কুসুম ও সাদা অংশ বের করে নিতে হবে। খোসাগুলো মুছে রোদে শুকিয়ে নাও।তারপর কী করবে বলছি শোনো। সাদা খোসার ডিম হলে কালো পোস্টার বা অ্যাক্রিলিক কালার লাগিয়ে শুকিয়ে নিতে হবে। এর পর ব্রাশে পর পর নীল, বেগুনি, কমলা রং নিয়ে ডিমের খোসায় ছড়িয়ে দাও। এরপর সাদা রঙে ছোট ছোট তারা এঁকে দাও কয়েক জায়গায়। হু, এবার পুরো সৌরজগতই তোমার হাতের মুঠোয়। এ ছাড়া সাদা ডিমের খোসায় পোস্টার কালার দিয়ে বিভিন্ন নকশা এঁকে নিতে পার। যেকোনো কিছু। তুমি যদি খুব ছোট হও তবে মার্কার পেন দিয়ে আঁকিবুঁকি করতে পারো। ডিমের গায়ে শুকনো ফুল ও পাতা আঠা দিয়ে লাও।এবার বাজারের নেটের ব্যাগ মাপমতো কেটে ডিমের গায়ে পেঁচিয়ে সুতো দিয়ে নেটের ব্যাগের বাড়তি অংশ শক্ত করে আটকে দাও। পানিতে পেঁয়াজের খোসার সঙ্গে ডিমের খোসাগুলো সিদ্ধ করো। এতে করে ডিমের গায়ে ফুল ও পাতার ছাপ বসে যাবে। কী সুন্দরই না লাগবে বলো! মিনিয়ন কি তোমার খুব প্রিয়? সাদা ডিমের গায়ে অর্ধেকটা হলুদ ও অর্ধেকটা নীল করে নাও তো দেখি। এবার ডলস আই লাগিয়ে কালো রঙে চশমার ফ্রেম এঁকে নিলেই হয়ে গেল তোমার প্রিয় মিনিয়ন।
টিপস,জেনে নিন,জীবনযুদ্ধ
পোস্টার বা অ্যাক্রিলিক কালার লাগিয়ে শুকিয়ে নিতে হবে। বোরড পান্ডা
life-health
https://www.ajkerpatrika.com/22215/%E0%A6%B6%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%81-%E0%A6%B9%E0%A7%9F%E0%A7%87%E0%A6%9B%E0%A7%87-%E0%A6%B0%E0%A7%8B%E0%A6%AC%E0%A6%9F-%E0%A6%85%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AA%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%A1%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%9C%E0%A6%BF%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A6%A8
শুরু হয়েছে রোবট অলিম্পিয়াডের রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম
৪র্থ বাংলাদেশ রোবট অলিম্পিয়াড (বিডিআরও) ২০২১ এর রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। করোনার বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে ৪র্থ বাংলাদেশ রোবট অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠিত হবে অনলাইনে ।সাত থেকে আট বছর বয়সী যেকোনো বাংলাদেশি শিক্ষার্থী এই অলিম্পিয়াডে অংশ নিতে পারবে। .. এর ওয়েবসাইটে আগামী ২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রেজিস্ট্রেশন করা যাবে। এরপর আগামী ১৬-২৬ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ রোবট অলিম্পিয়াড ২০২১ এর বিভিন্ন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। আন্তর্জাতিক রোবট অলিম্পিয়াডের বিগত তিন আসরে স্বর্ণপদক অর্জনসহ বাংলাদেশ দল অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছিল।এবছর ৫টি ক্যাটাগরিতে এই অলিম্পিয়াডের জাতীয় পর্ব অনুষ্ঠিত হবে বলে আয়োজকেরা জানিয়েছেন। অনুষ্ঠানে থাকা ক্যাটাগরিগুলো হলো- রোবট ইন মুভি, ক্রিয়েটিভ ক্যাটাগরি, রোবট গ্যাদারিং, রোবটিক কুইজ এবং রোবটিক্স কুইক কুইজ।এখানে শুধুমাত্র কুইজ প্রতিযোগিতাগুলো বাংলাদেশ রোবট অলিম্পিয়াড অংশের জন্য আয়োজিত হবে এবং অন্য তিনটি প্রতিযোগিতা দক্ষিণ কোরিয়ায় অনুষ্ঠিতব্য ২৩তম আন্তর্জাতিক রোবট অলিম্পিয়াডের দল গঠনের লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক পর্বের নিয়ম অনুসারে অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিটি প্রতিযোগিতা জুনিয়র এবং চ্যালেঞ্জ - এই দুইটি গ্রুপে বিভক্ত থাকবে। যে সকল প্রতিযোগীর জন্ম ২০০৩ থেকে ২০০৮ সালের মধ্যে তারা চ্যালেঞ্জ গ্রুপে এবং যাদের জন্ম ২০০৯ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে তারা জুনিয়র গ্রুপে প্রতিযোগিতা করতে পারবে। একজন প্রতিযোগী তার পছন্দমত যতগুলো ইচ্ছা ততগুলো প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবে।এ বছরের বাংলাদেশ রোবট অলিম্পিয়াডের মূল থিম হচ্ছে- 'সোশ্যাল রোবট'। এই অনুষ্ঠানের আয়োজক সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোবটিক্স অ্যান্ড মেকাট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ এবং বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্ক। বাস্তবায়ন সহযোগী বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল।
রোবট,রোবট অলিম্পিয়াড
আন্তর্জাতিক রোবট অলিম্পিয়াডের বিগত তিন আসরে স্বর্ণপদক অর্জনসহ বাংলাদেশ দল অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছিল।
science-tech
https://www.ajkerpatrika.com/12605/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%AF%E0%A7%8B%E0%A6%9C%E0%A6%95-%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%93-%E0%A6%86%E0%A6%9F%E0%A6%95-%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%93%E0%A7%9F%E0%A6%BE-%E0%A6%B9%E0%A7%9F%E0%A7%87%E0%A6%9B%E0%A7%87-%E0%A6%B0%E2%80%8D%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%AC-%E0%A6%B8%E0%A6%A6%E0%A6%B0-%E0%A6%A6%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%B0%E0%A7%87
প্রযোজক রাজও আটক, নেওয়া হয়েছে র্যাব সদর দপ্তরে
চিত্রনায়িকা পরীমণিকে আটকের পর চলচ্চিত্র প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজকেও আটক করেছে র্যাব। বনানীর জি ব্লকের ৭ নম্বর রোডের ৪১ নম্বর বাসা থেকে তাঁকে র্যাব সদর দপ্তরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বুধবার (৪ আগস্ট) রাত আটটার দিকে র্যাবের একটি দল রাজের বাসায় অভিযান শুরু করে। প্রায় দুই ঘণ্টার অভিযানে রাজের বাসা থেকে দেশি বিদেশি বিপুলসংখ্যক মদের বোতল ও সিসা সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে র্যাব।নজরুল ইসলাম রাজের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের নাম রাজ মাল্টিমিডিয়া। রাজের বাসায় অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের উপ-পরিচালক মেজর হুসাইন রইসুল আজম।এর আগে রাজধানীর বসুন্ধরা এলাকা থেকে গতকাল মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) রাতে অস্ত্র ও মাদকসহ শরফুল হাসান ওরফে মিশু হাসান (৩১) ও তার সহযোগী মাসুদুল ইসলাম ওরফে জিসানকে (৩৯) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১। গ্রেপ্তারকালে তাঁদের কাছ থেকে ১টি আগ্নেয়াস্ত্র, ৬ রাউন্ড গোলাবারুদ, ইয়াবা ১৩ হাজার ৩০০ পিস, একটি বিলাসবহুল ফেরারি মডেলের গাড়ি, শিশার সরঞ্জামাদি,২টি ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন, বিভিন্ন ব্যাংকের চেকবই ও এটিএম কার্ড, পাসপোর্ট এবং ভারতীয় জাল মুদ্রা ৪৯ হাজার ৫০০ রুপি জব্দ করা হয়।র্যাব জানায়, শরফুল হাসান ওরফে মিশু হাসানের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে নজরুল ইসলাম রাজের বাসায় অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।এর আগে আজ বুধবার সন্ধ্যায় বনানীর লেক ভিউ ১৯ /এ নম্বর রোডের ১২ নম্বর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে পরীমণিকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। এ সময় বিপুল মাদক ও অবৈধ সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। তাঁকে র্যাব সদর দপ্তরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।জানা যায়, পরীর প্রথম ছবি ভালোবাসা সীমাহীন-এর প্রযোজক ছিলেন এই নজরুল ইসলাম রাজ। তিনি প্রযোজনার পাশাপাশি নাটক নির্মাণ ও অভিনয়ও করে থাকেন। তার হাত ধরেই নাটক থেকে সিনেমায় নাম লেখান পরী।
ঢাকা জেলা,অপরাধ,র‍্যাব,ঢাকা বিভাগ,পরীমণি
চলচ্চিত্র প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজ।
national
https://www.ajkerpatrika.com/38315/%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A7%8B%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%81%E0%A6%B6%E0%A7%80%E0%A6%B0-%E0%A6%AC%E0%A6%A6%E0%A6%B2%E0%A7%87-%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A7%9C%E0%A6%BF
করোনার ধাক্কায় বাঁশীর বদলে হাতে হাতুড়ি
করোনাভাইরাসের কারণে গণজমায়েতের ওপর নিষেধাজ্ঞা আছে। এতে জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার অর্ধশতাধিক লোকসংগীতের সঙ্গে সম্পৃক্ত কণ্ঠশিল্পী ও যন্ত্রশিল্পীদের জীবন থমকে গেছে। কেননা, এ সময় বেশির ভাগ সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড বন্ধ আছে। তাই তাঁরা মানবেতর জীবন যাপন করছেন। অথচ তাঁরাই গানের মাধ্যমে গ্রামবাংলার সংস্কৃতি তুলে ধরতেন।উপজেলার লোকশিল্পীরা বিভিন্ন অনুষ্ঠানে মারফতি, মুর্শিদি, বাউল, ভাটিয়ালি, ভাওয়াইয়া, পল্লিগীতি ও দেহতত্ত্ব গান পরিবেশন করতেন। জীবিকার তাগিদে কেউ কেউ এই পেশা ছেড়ে অন্য পেশায় চলে গেছেন। আর যাঁরা এই পেশা ছাড়েননি এবং পেশা বদল করতে পারছেন না, তাঁদের জীবন হয়ে উঠেছে দুর্বিষহ। কাজ না থাকায় অনেকে বাড়িতে বসে থাকেন। ধারদেনায় চালছে তাঁদের সংসার।কথা হয় উপজেলার খরপা গ্রামের বংশীবাদক জিয়াউল হকের সঙ্গে। যাঁর সুরের মূর্ছনায় মেতে উঠত মঞ্চ।তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, 'আমি প্রায় ১৫ বছর ধরে এই পেশায় জড়িত ছিলাম। বাউলশিল্পীদের সঙ্গে বংশীবাদকের কাজ করি। দূরের সেসব অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করলে ১২০০-১৫০০ টাকা এবং নিজ এলাকায় ১০০০-১২০০ টাকা পারিশ্রমিক পেতাম।'জিয়াউল হক বগুড়ার সান্তাহার, দুপচাঁচিয়া, আদমদীঘি, শিবগঞ্জ, সোনাতলা, ধুনট, শেরপুর, গাইবান্ধা, গোবিন্দগঞ্জ, জয়পুরহাটের কালাই, ক্ষেতলাল, আক্কেলপুর, দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট, নওগাঁর নজিপুর, নিয়ামতপুর, মহাদেবপুরসহ দেশের বিভিন্ন জেলার অনুষ্ঠানে বাউলশিল্পীদের সঙ্গে বাঁশি বাজানোর জন্য আমন্ত্রণ পেতেন।করোনা এসে যেন সবকিছু ওলট-পালট করে দিয়েছে। এখন জীবিকার তাগিদে পেশা বদলে হয়েছেন কাঠমিস্ত্রি। কাঠমিস্ত্রির কাজ করে কোনোভাবে চলছে সংসার। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, দেশে সবকিছু খুলে দেওয়া হচ্ছে, কিন্তু তাঁদের অনুষ্ঠান করার অনুমতি মেলে না। এ ছাড়া করোনা আসার পর থেকে এখন পর্যন্ত মেলেনি কোনো সরকারি সাহায্য বা প্রণোদনা।কালাইয়ের লোকসংস্কৃতি পরিষদের কণ্ঠশিল্পী হেলাল হোসেন বলেন, করোনার কারণে বিভিন্ন দিবস ও উৎসব উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজকেরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন না করায় মানবেতর দিন পার করতে হচ্ছে তাঁদের।উপজেলার সাংস্কৃতিক সংগঠক আব্দুল মজিদ জানান, উপজেলায় অর্ধশতাধিক লোকশিল্পী ও যন্ত্রশিল্পী আছেন। করোনার জন্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানগুলো না হওয়ায় এসব শিল্পী আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। ধারদেনায় তাঁদের সংসার চালাতে হচ্ছে। এই কঠিন সময়ে সরকারি সহায়তা দেওয়া হলে কিছুটা হলেও তাঁরা উপকৃত হতেন।
জয়পুরহাট,রাজশাহী বিভাগ,কালাই,ছাপা সংস্করণ,রাজশাহী সংস্করণ,বগুড়া সিরাজগঞ্জ জয়পুরহাট
জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার খরপা গ্রামের নিজ বাড়িতে বিষণ্ণ মনে বাঁশি বাজাচ্ছেন বংশীবাদক জিয়াউল হক। টি গতকাল বুধবার
national
https://www.dailynayadiganta.com/Incident-accident/382995/সতেরশ-টন-গম-নিয়ে-ডুবল-খাজা-বাবা-ফরিদপুরী
সতেরশ টন গম নিয়ে ডুবল খাজা বাবা ফরিদপুরী
গম নিয়ে ডুবে গেল খাজা বাবা ফরিদপুরী নামের একটি জাহাজ।বন্দরের বহির্নোঙরে অপেক্ষমাণ বড় জাহাজ থেকে সতেরশ টন গম নিয়ে নারায়ণগঞ্জ যাওয়ার পথে জাহাজটি ডুবে গেছে । বৃহস্পতিবার (২৪ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় ভাসানচর এলাকায় জাহাজটি ডুবে যায়। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) উপ-পরিচালক মো. সেলিম জাহাজডুবির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ভাসানচর ১ নম্বর বয়া থেকে ১ নটিক্যাল মাইল পূর্ব দিকে ডুবে যায় 'খাজা বাবা ফরিদপুরী' নামের লাইটার জাহাজটি। ওই জায়গায় গভীরতা কম থাকায় বিআইডব্লিউটিএর নিয়ম রয়েছে জোয়ার শুরুর ৩ ঘণ্টা পর জাহাজ চালানোর। বৃহস্পতিবার জোয়ার শুরু হয় সকাল ১০টার দিকে। জাহাজটি ওই পথ অতিক্রমের চেষ্টা করে সাড়ে ১১টার দিকে। পানি কম থাকায় জাহাজটি প্রথমে চরে আটকে যায়। পরে পানি বাড়লে সেটি ডুবে যায়। তিনি জানান, ওই জাহাজের ১৩ জন নাবিকের মধ্যে ১২ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। ১ জন নিখোঁজ রয়েছেন। তাকে উদ্ধারে নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ড তল্লাশি চালাচ্ছে। চাঁদপুর থেকে বিআইডব্লিউটিএর একটি জাহাজ রওনা দিয়েছে দুর্ঘটনার স্থানটি মার্কিং করে দেওয়ার জন্য। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত উদ্ধার কাজ চলছিল।
null
সতেরশ টন গম নিয়ে ডুবল খাজা বাবা ফরিদপুরী
national
https://www.dailynayadiganta.com/dhaka/367277/সৈয়দ-আশরাফ-মনোনয়ন-পেলেও-বিকল্প-রাখা-হয়েছে-হুমায়ুনকে
সৈয়দ আশরাফ মনোনয়ন পেলেও বিকল্প রাখা হয়েছে হুমায়ুনকে
কিশোরগঞ্জ-১ (কিশোরগঞ্জ সদর-হোসেনপুর) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দেয়া হয়েছে ওই আসনের টানা চার বারের সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে। তার নামে দলীয় মনোনয়নের চিঠিও ইস্যু করা হয়েছে। তবে এই আসনের জন্য দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা স্বাক্ষরিত ইস্যু করা চিঠিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে দুই জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এর মধ্যে ১ নম্বর ক্রমিকে সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম এর নাম এবং ২ নম্বর ক্রমিকে মো. মসিউর রহমান হুমায়ুন এর নাম রয়েছে। রোববার সকালে দলের বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে মনোনয়নপ্রাপ্তদের নামে ইস্যু করা চিঠি দেয়া শুরু করে আওয়ামী লীগ। এ সময় কোন কোন আসনে একাধিক প্রার্থীকে মনোনয়ন দেয়ার বিষয়টি সাংবাদিকদের জানান দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন, আমরা কোথাও কোথাও দু'টো চিঠিও দিয়েছি। নানা কারণে, টেকনিক্যাল কিছু রিজন রয়েছে। আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বাংলাদেশে সৎ ও স্বচ্ছ রাজনীতির আদর্শ হিসেবে খ্যাত। তিনি দীর্ঘদিন ধরে থাইল্যান্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এই অসুস্থতার জন্য তিনি জাতীয় সংসদ থেকেও ছুটি নিয়েছিলেন। তাঁর এই অসুস্থতা নিয়ে নানা কথা আলোচিত হলেও সৈয়দ আশরাফের পক্ষে প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ় অবস্থানের কারণে তাঁকে দলীয় প্রার্থী হিসেবে বাছাই করা হয়েছে বলে দলের একাধিক সূত্র জানিয়েছে। তবে কোন কারণে সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম নির্বাচনে প্রার্থী না হলে বিকল্প হিসেবে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রিয় উপ-কমিটির সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক সহকারি কৃষিবিদ মো. মসিউর রহমান হুমায়ুন এই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে। উল্লেখ্য এ আসনে সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ছাড়াও আরো ১০ নেতা আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন। এদের মধ্যে সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের দুই সহোদর মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ সাফায়েতুল ইসলাম ও লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মুক্তিযোদ্ধা ড. সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম, চাচাতো ভাই অ্যাডভোকেট সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম টিটু, রাষ্ট্রপতি মো: আবদুল হামিদের মেজো ছেলে রাসেল আহমেদ তুহিনও মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছিলেন।
null
সৈয়দ আশরাফ মনোনয়ন পেলেও বিকল্প রাখা হয়েছে হুমায়ুনকে
national
https://www.prothomalo.com/world/india/মিঠুন-চক্রবর্তীর-বিরুদ্ধে-করা-মামলার-শুনানি-হতে-পারে-আজ
মিঠুন চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে করা মামলার শুনানি হতে পারে আজ
ভারতের পশ্চিমবঙ্গে এবারের রাজ্য বিধানসভার নির্বাচনে বলিউড তারকা মিঠুন চক্রবর্তী বিজেপির হয়ে প্রচারে নেমেছিলেন। তবে তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগ, তিনি উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন। এরপর তাঁর বিরুদ্ধে মামলাও করেছে দলটি। এ নিয়ে আজ বুধবার কলকাতার হাইকোর্টে শুনানি হতে পারে। উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে গত ৬ মে মিঠুন চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে কলকাতার মানিকতলা থানায় মামলা করে উত্তর কলকাতার যুব তৃণমূল কংগ্রেস। আবেদনে বলা হয়, মিঠুন চক্রবর্তী বিজেপির প্রচারে এসে তৃণমূলের বিরুদ্ধে নানা উসকানিমূলক বক্তব্য দেন। বিশেষ করে উসকানিমূলক বক্তব্যের মাধ্যমে মিঠুন চক্রবর্তী এই রাজ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট ও শান্তিভঙ্গের চেষ্টা চালান। এমনকি বিভিন্ন গোষ্ঠী ও সম্প্রদায়ের মধ্যে বিদ্বেষ ছড়িয়েছেন। মিঠুন চক্রবর্তী একে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হিসেবে উল্লেখ করে মামলাটি খারিজের আবেদন করেন কলকাতা হাইকোর্টে। আজ কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে এই মামলার শুনানি হতে পারে। এ প্রসঙ্গে গতকাল মঙ্গলবার মিঠুন চক্রবর্তীর আইনজীবী বিকাশ সিং বলেন, রাজনৈতিক হিংসা চরিতার্থ করতেই মিঠুন চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে এ ধরনের মিথ্যা অভিযোগ এনে মামলা করা হয়েছে। ওই অভিযোগের কোনো সত্যতা নেই। তিনি বলেন, মিঠুন চক্রবর্তীর সংলাপে যদি নির্বাচনী বিধি ভঙ্গ হতো, তাহলে নির্বাচন কমিশনই মিঠুনের বিরুদ্ধে নোটিশ দিত। কিন্তু নির্বাচন কমিশন থেকে কোনো নোটিশ দেওয়া হয়নি মিঠুন চক্রবর্তীকে। বিকাশ সিং বলেন, নিজের অভিনীত ছবির সংলাপ তিনি ভোটের ময়দানে ব্যবহার করেছেন, যা সেন্সর বোর্ড আগেই অনুমোদন করেছে। তাই এই অভিযোগও ভিত্তিহীন ও অযৌক্তিক। মিঠুন চক্রবর্তী যখন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ছিলেন, তখনো তিনি এই সংলাপগুলো ব্যবহার করেছেন। এদিকে মিঠুন বলেন, 'নির্বাচনী প্রচারে গেলে মানুষজন বিভিন্ন ছবির সংলাপ শোনার আবদার করেন। আমি শুধু সেই সংলাপ শুনিয়েছি। সুতরাং এ নিয়ে কোনো উসকানি দেওয়ার প্রশ্ন ওঠে না।' মিঠুন চক্রবর্তী গত ৭ মার্চ কলকাতার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ব্রিগেড সমাবেশে যোগ দিয়েছিলেন। এই সমাবেশে যোগ দিয়ে মোদির হাত ধরে সেদিন বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। ওই দিন তাঁর অভিনীত চলচ্চিত্রের সংলাপ শুনিয়েছিলেন তিনি। তিনি বলেন, 'মারব এখানে, লাশ পড়বে শ্মশানে'। এরপরই মিঠুন বলেন, 'এবার আমি নতুন আর একটি সংলাপ শোনাব। সেটা হলো, 'আমি জলঢোরা নই, বেলেবোরাও নই, আমি জাত গোখরো, এক ছোবলেই ছবি।' আর এতেই খেপে যায় তৃণমূল। তারপরই মামলা করা হয় কলকাতার মানিকতলা থানায়।
ভারত,তৃণমূল কংগ্রেস,বিজেপি,মিঠুন চক্রবর্তী,কংগ্রেস
মিঠুন চক্রবর্তী
international
https://www.dailynayadiganta.com/politics/628897/দেশে-ফিরছেন-ডা.-মুরাদ
দেশে ফিরছেন ডা. মুরাদ!
সদ্য পদত্যাগ করা তথ্য উপমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান দেশে ফিরছেন। কানাডা ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে ইমিগ্রেশন সার্ভিসের বাধায় ঢুকতে না পেরে ঢাকায় আসার প্রস্তুতি নিয়েছেন তিনি। প্রস্তুতি ঠিক থাকলে রোববার সকাল ৮টা ২০ মিনিটে সাবেক এই উপমন্ত্রী ঢাকায় পৌঁছাবেন বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। তবে, ডা. মুরাদের বাংলাদেশে ফেরত আসা কিংবা তার অবস্থানের ব্যাপারে কিছুই জানেন না বলে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বর্তমানে ডা. মুরাদ কোথায় আছেন, আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো সূত্র তা নিশ্চিত করেনি। এর আগে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই থেকে কানাডার টরেন্টো পিয়ারসন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্থানীয় সময় শুক্রবার দুপুর ১টা ৩১ মিনিটে পৌঁছান তিনি। সেখানে ইমিগ্রেশনে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহ সম্পর্কে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তিনি কী কারণে কানাডায় এসেছেন, সে বিষয়েও জানতে চাওয়া হয়। এ সময় কোনো যুক্তিযুক্ত কারণ দেখাতে ব্যর্থ হন ডা. মুরাদ। তার সরকারি ও ব্যক্তিগত পাসপোর্ট জটিলতার বিষয়েও কানাডা ইমিগ্রেশন জানতে চাইলে কোনো সঠিক উত্তর দিতে না পারায় তাকে কানাডা পিয়ারসন এয়ারপোর্ট থেকে পুনরায় দুবাইয়ে ফেরত পাঠানো হয়। ওই সময় তাকে জানানো হয়, কানাডায় তার প্রবেশে স্থানীয় অনেক নাগরিক আপত্তি তুলেছেন। পরে দুবাই ফিরে সংযুক্ত আরব আমিরাতে প্রবেশের চেষ্টা করেন মুরাদ হাসান। কিন্তু ভিসা না থাকার কারণে তাকে সেদেশে প্রবেশ করতে দেয়নি ইমিগ্রেশন বিভাগ। পরে ঢাকার উদ্দেশ্যে বিমানের টিকেট কিনেন তিনি। সাম্প্রতিক সময়ে অশালীন ও শিষ্টাচারবহির্ভূত মন্তব্য প্রকাশ করে সমালোচিত হয়েছিলেন ডা. মুরাদ হাসান। অতি সম্প্রতি এক চিত্রনায়িকার সাথে অশালীন ফোনালাপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর গত সোমবার মন্ত্রিসভা থেকে ডা. মুরাদ হাসানকে পদত্যাগের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে মঙ্গলবার পদত্যাগ করেন ডা. মুরাদ। পরে বৃহস্পতিবার কানাডায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে দেশ ছাড়েন তিনি।
ডা. মুরাদ হাসান
ডা. মুরাদ হাসান
politics
https://www.bd-pratidin.com/country/2022/02/27/744930
টেকনাফে মাসিক আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা
কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলা মাসিক আইনশৃঙ্খলা ও চোরাচালান প্রতিরোধ টাস্কফোর্স কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পারভেজ চৌধুরী। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার (উখিয়া-টেকনাফ) আসনের সংসদ সদস্য শাহীন আক্তার চৌধুরী, বিশেষ অতিথি ছিলেন সাবেক সাংসদ আবদুর রহমান বদি, উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল আলম ও জেলা পরিষদ সদস্য মো. শফিক মিয়া। বিডি প্রতিদিন/এমআই
টেকনাফ, আইনশৃঙ্খলা, কমিটি, সভা
টেকনাফে মাসিক আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা।
national
https://www.ajkerpatrika.com/42916/%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%87%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%8F%E0%A6%AE%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%AA%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A7%8B%E0%A6%A7-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A7%87-%E0%A6%AF%E0%A6%BE-%E0%A6%AC%E0%A6%B2%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%A8-%E0%A6%AA%E0%A6%BF%E0%A6%8F%E0%A6%B8%E0%A6%9C%E0%A6%BF-%E0%A6%95%E0%A7%8B%E0%A6%9A
নেইমার-এমবাপ্পের বিরোধ নিয়ে যা বললেন পিএসজি কোচ
ফরাসি লিগ ওয়ানে মঁপেলিয়ের বিপক্ষে প্যারিস সেন্ট জার্মেইয়ের (পিএসজি) জেতা ম্যাচে নেইমার জুনিয়রের পাসে গোল দেন ইউলিয়ান ড্রাক্সলার। সে সময় ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, কিলিয়ান এমবাপ্পে এক সতীর্থকে নেইমারের বিরুদ্ধে তাঁকে পাস না দেওয়ার অভিযোগ করছেন।তবে কি নেইমার ও এমবাপ্পের মধ্যে বিরোধ চলছে-এমন প্রশ্নে এখন উত্তপ্ত ফুটবল দুনিয়া। এই ইস্যুতে এবার মুখ খুলেছেন পিএসজি কোচ মরিসিও পচেত্তিনো। বলেছেন, বড় তারকাদের মধ্যে এমন ছোটখাটো সমস্যা হয়েই থাকে। এসব নিয়ে চিন্তিত নন তিনি।উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগে ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে আজ রাতে মুখোমুখি হবে পিএসজি। ইউরোপীয় শ্রেষ্ঠত্বের মঞ্চে এখন পর্যন্ত সিটির বিপক্ষে জয়ের মুখ দেখেনি পিএসজি। গতবারের সেমিফাইনালের দুই লেগেই পেপ গার্দিওলার দলের কাছে হেরেছিল প্যারিসিয়ানরা।এই পরিস্থিতিতে নেইমার-এমবাপ্পে দ্বন্দ্ব পিএসজি সমর্থকদের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছিল। তবে এ নিয়ে ভাবিত নন কোচ পচেত্তিনো, 'ওরা দারুণ খেলোয়াড়। এ ধরনের ঘটনা ঘটেই থাকে। সেরা খেলোয়াড়দের মধ্যে এমন কিছু ব্যাপার থাকে। ওরা একে অপরকে প্রতিদ্বন্দ্বী ভাবে। এর কারণ ওরা জিততে চায় এবং দলকে সাহায্য করতে চায়।'সেদিনের ঘটনা নিয়ে পচেত্তিনো নিজে নেইমার-এমবাপ্পের সঙ্গে কথা বলেছেন। সাংবাদিকদের জানালেন সেটিও, 'আমি নিজে আলাদাভাবে ওদের সঙ্গে কথা বলেছি। ওরাও নিজেদের মধ্যে কথা বলে থাকতে পারে। দলীয় অনুশীলনের ছবিতে ওদের আনন্দ করতেও দেখেছি আমি।'
ফুটবল,ব্রাজিল,নেইমার,পিএসজি
নেইমারের বিরুদ্ধে পাস না দেওয়ার অভিযোগ এনেছেন এমবাপ্পে। টুইটার
sports
https://www.bd-pratidin.com/entertainment/2021/04/02/634657
ক্যান্সারে আক্রান্ত কিরণ খের
মারণ রোগে আক্রান্ত বিজেপি সাংসদ ও প্রবীণ বলিউড অভিনেত্রী কিরণ খের। ব্লাড ক্যান্সার ধরা পড়েছে তার শরীরে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তারই জীবনসঙ্গী ও অভিনেতা অনুপম খের। অনুপম ছাড়াও চণ্ডীগড়ের বিজেপি সভাপতি অরুণ সুদও টুইট করে জানান এই দুঃসংবাদ। খবর শুনেই মুষড়ে পড়েছে গোটা বলিউড। এমনকি তার অনুরাগীরাও। ২০২০ সালের নভেম্বরেই ধরা পড়েছিল কিরণ খেরের ক্যান্সার। বাঁ হাত ভেঙে যাওয়ার পর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তখনই চিকিৎসকরা জানান তিনি 'মাল্টিপল মেলোমা'য় আক্রান্ত। আরও জানিয়েছিলেন, ততদিনে বাঁ হাত থেকে কিরণের কাঁধে ছড়িয়ে পড়েছিল ক্যান্সার। অনুপম খের টুইট করে সকলকে প্রার্থনা করার আবেদন করেন। তিনি জানান, 'কিরণ একজন যোদ্ধা। জীবনের কঠিন পরিস্থিতি আগেও মোকাবিলা করেছেন। আমি জানি এবারও ও জিতে ফিরবে।' বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ সিফাত
ক্যান্সার, আক্রান্ত
কিরণ খের
entertainment
https://www.ajkerpatrika.com/79822/%E0%A6%A4%E0%A6%B0%E0%A7%81%E0%A6%A3%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%87-%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8B%E0%A6%AF%E0%A7%8B%E0%A6%97
তরুণদের দিকেই মনোযোগ
শীতের কুয়াশা কেটে রোদের তেজ বাড়তে শুরু করেছে কেবল। এর মধ্যেই মিরপুরে হাজির খালেদ মাহমুদ সুজন। সঙ্গে আছেন সাত তরুণ ক্রিকেটার। এদের মধ্যে চারজনের এখনো আন্তর্জাতিক আঙিনায় পা পড়েনি। এই তরুণদের নিয়ে তিন ঘণ্টা ধরে কখনো একাডেমি মাঠে কখনো ইনডোরের উইকেটে পড়ে রইলেন বাংলাদেশ দলেন 'টিম ডিরেক্টর'।এই তরুণেরা জাতীয় ক্রিকেট লিগে (এনসিএল) নিজেদের বিভাগীয় দলের হয়ে খেলা নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। গতকাল রোববার থেকে শুরু হয়েছে এনসিএলের চতুর্থ রাউন্ড। সেই খেলা বাদ দিয়ে হঠাৎ এই তরুণদের জরুরি তলবের কারণ কী?কারণ ওই একটাই-টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের চূড়ান্ত ব্যর্থতা। বিশ্বকাপে ভরাডুবির পর করণীয় ঠিক করতে এর মধ্যেই কাজ শুরু করে দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। একই কারণে অনেকগুলো সংস্কারের মধ্যে দিয়ে যাওয়ার ইঙ্গিতও মিলছে দেশের ক্রিকেটাঙ্গনে। তাতে কপাল খুলছে নাজমুল হোসেন শান্ত, সাইফ হাসান, ইয়াসির আলী রাব্বি, পারভেজ হোসেন ইমন, তৌহিদ হৃদয়, কামরুল ইসলাম রাব্বি ও তরুণ বাঁহাতি স্পিনার তানভীর ইসলামের। তাঁদের ঘষামাজা করে গড়ে তোলার দায়িত্বটা পড়ল খালেদ মাহমুদের কাঁধে।টেস্ট ও ওয়ানডে সংস্করণে দুর্দান্ত ক্রিকেট খেললেও টি-টোয়েন্টিতে বড় অচেনা লিটন দাস। উল্কার মতো আবির্ভাব হওয়া সৌম্য সরকার তো বহুদিন ধরে টেস্টে বিবেচনার বাইরে। সাদা বলের ক্রিকেটেও এই বাঁহাতি ব্যাটারের আকাশটা ক্রমেই মেঘাচ্ছন্ন হয়ে উঠেছে। বহুদিন ধরেই টি-টোয়েন্টিতে দুজনের ব্যাটে রান পাওয়া যেন হ্যালির ধূমকেতুর মতো দুর্লভ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশ্বকাপে ব্যর্থতার পর লিটন-সৌম্যকে হয়তো এই সংস্করণ থেকে দূরেই থাকতে হচ্ছে আপাতত। পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে মোহাম্মদ নাঈমের সঙ্গে পারভেজ ইমনকে ওপেনিংয়ে দেখা গেলে তাই অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। তৌহিদ হৃদয়েরও যথেষ্ট সম্ভাবনা আছে এই সিরিজে। বহুদিন ধরে দলের সঙ্গে থাকা ইয়াসির আলীর সাদা পোশাকে অভিষেকটা এবার হয়েও যেতে পারে। টেস্ট থেকে অবসর নেওয়া মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের জায়গায় দেখা যেতে পারে তাঁকে। চোটে পড়ায় সাকিব আল হাসান ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনকে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে পারবেন না। শঙ্কা রয়েছে নুরুল হাসান সোহানের খেলা নিয়েও।ওয়ানডেতে আমাদের দলটা সেট করা আছে, টেস্টেও আমাদের একটা ভালো দল আছে। তরুণদের টি-টোয়েন্টি সংস্করণে যুক্ত করার একটা পরিকল্পনা আছে। খালেদ মাহমুদপরিচালক, বিসিবিপুরোনো কয়েকজনকে যখন অনেক সুযোগ দিয়েও স্থায়ী করা যাচ্ছে না, এই সুযোগে তাঁদের বদলে নতুনদের বাজিয়ে দেখার কাজটা সেরে রাখছে বিসিবি। ভাবনাটা অবশ্য শুধু পাকিস্তান সিরিজকেন্দ্রিক নয়, আরও বড় আকারে প্রসারিত। সব মিলিয়ে টি-টোয়েন্টি সংস্করণে ভারত-ইংল্যান্ডের মতো আলাদা একটা দল গড়ে তোলার কথা ভাবছে বিসিবি।টি-টোয়েন্টি সংস্করণে আলাদা দল গঠনের বিষয়ে ইঙ্গিত দিলেন খালেদ মাহমুদ। বাংলাদেশ দলের টিম ডিরেক্টর গতকাল অনুশীলন শেষে মিরপুরে সাংবাদিকদের বলেন, 'ওয়ানডেতে আমাদের দলটা সেট করা আছে, টেস্টেও আমাদের একটা ভালো দল আছে। তরুণদের টি-টোয়েন্টি সংস্করণে যুক্ত করার একটা পরিকল্পনা আছে। যেহেতু এই সংস্করণে আমরা ভালো খেলছি না। আমি বলছি না যে এই ছেলেরা (সাত তরুণ) খেললেই যে বাংলাদেশ জিতবে। কিন্তু তাঁদের তৈরি করাটা বড় ব্যাপার।'বাংলাদেশ দলের সহকারী কোচ হিসেবে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে দেশের ক্রিকেটের পরিচিত মুখ সালাউদ্দিনকে। সাকিবের 'গুরু' এই প্রস্তাবে যে সাড়া দিচ্ছেন তারই ইঙ্গিত মিলেছে গতকাল। সুজন যখন সাত তরুণকে অনুশীলন করাচ্ছিলেন, তখন তিনিও আসেন সেখানে। অদূরে দাঁড়িয়ে শান্ত-সাইফদের অনুশীলন দেখেন সালাউদ্দিন।সুজনও চান সালাউদ্দিন দলের সঙ্গে যোগ দিক। সালাউদ্দিনকে নতুন ভূমিকায় দেখা যাবে কি না-এমন প্রশ্নে বিসিবির এই পরিচালক বলেছেন, 'অবশ্যই। আমরা চাই তাঁকে বাংলাদেশের সেট আপের সঙ্গে যুক্ত করতে।'
ক্রিকেট,টি–টোয়েন্টি,বাংলাদেশ ক্রিকেট,বিশ্বকাপ,টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপ,ক্রিকেটার
খালেদ মাহমুদপরিচালক, বিসিবি
sports
https://www.dailynayadiganta.com/subcontinent/603908/আন্তর্জাতিক-স্বীকৃতি-আশা-করছে-তালেবান
আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আশা করছে তালেবান
তালেবান মঙ্গলবার বলেছে, তারা আফগানিস্তানের ওপর তাদের 'বৈধ প্রতিনিধিত্বকারী' শাসনের জন্য আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়ার আশা করছে। তাদের যুক্তি হলো, কূটনৈতিক সম্পৃক্ততা বিশ্বব্যাপী নিরাপত্তা বাড়াতে সাহায্য করবে এবং কয়েক দশকের নিষ্ঠুর যুদ্ধে আফগানদের যে কষ্ট তা লাঘব হবে। ইসলামপন্থী গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক কমিশনের এক সিনিয়র সদস্য ভয়েস অব আমেরিকার কাছে ওই মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, আফগানিস্তানের সব পক্ষের সঙ্গে কথা বলে 'অন্তর্ভুক্তিমূলক ইসলামি সরকার' গঠনের যে প্রতিশ্রুতি তালেবান দিয়েছিল তার প্রক্রিয়া চলছে এবং শিগগিরই তা ঘোষণা করা হবে। আব্দুল কাহার বলখি বলেন, আমরা বিশ্বাস করি বিশ্বের কাছে সমঝোতার একটি অনন্য সুযোগ রয়েছে এবং কেবল আমাদের মোকাবেলা করা জন্য যে চ্যালেঞ্জ তার জন্য একত্রিত হওয়া নয়, বরং সমগ্র মানবজাতি এবং বিশ্ব নিরাপত্তা থেকে জলবায়ু পরিবর্তনের মত চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলা করতে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। এবং তা অর্জিত হতে পারে না, যদি আমাদের সমগ্র জনগণকে বাদ বা উপেক্ষা করা হয়। আফগানিস্তানে ক্ষমতাচ্যুত সরকারের নিরাপত্তা বাহিনীর উল্লেখযোগ্য কোনো প্রতিরোধের মুখোমুখি না হয়ে দেশটির রাজধানী কাবুলে প্রবেশ এবং দেশটির ৩৪টি প্রদেশের ৩৩টির নিয়ন্ত্রণ নেয়ার এক সপ্তাহ পরে তিনি এসব কথা বলছিলেন। সূত্র : ভয়েস অব আমেরিকা
তালেবান,কাবুল,আফগানিস্তান
কাবুলে তালেবান
international
https://www.dailynayadiganta.com/usa-canada/383700/যুক্তরাষ্ট্রে-বন্দুকধারীদের-হামলায়-নিহত-৫
যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুকধারীদের হামলায় নিহত ৫
আমেরিকার লুসিয়ানায় বন্দুকবাজের হানা দুষ্কৃতিকারীদের গুলিতে নিহত হয়েছে পাঁচজন লুসিয়ানার দুটি জায়গায় বন্দুকবাজেরা হানা দেয় বলে জানা গেছে পুলিশসূত্রে জানা গেছে অ্যাসেনশান ও লিভিংস্টোনে বন্দুকধারী হানা দেয় পুলিশ দুষ্কতিকারীদের মধ্যে একজনকে চিহ্নিত করতে পেরেছে বলে জানা গেছে তবে তাকে এখনো ধরা যায়নি দুষ্কৃতিকারীর কাছে অত্যাধুনিক অস্ত্র রয়েছে বলে দাবি পুলিশের ধরতে গেলে সে গুলি ছুঁড়বে এতে প্রাণহানির সংখ্যা বাড়তে পারে দুষ্কৃতিকারীকে ধরতে তাই বেগ পেতে হচ্ছে পুলিশকে বন্দুকধারীর হানায় এখন পর্যন্ত পাঁচজন নিহত হয়েছেন এদের মধ্যে লিভিংস্টোন থেকে তিনজন মারা গেছেন বাকি দু'জন নিহত হন অ্যাসেনশানে
null
যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুকধারীদের হামলায় নিহত ৫
international
https://samakal.com/whole-country/article/19072447/ডুবে-যাওয়ার-২-দিন-পর-শিক্ষকের-লাশ-উদ্ধার
বিলে ডুবে যাওয়ার ২ দিন পর শিক্ষকের লাশ উদ্ধার
নাটোরের হালতিবিলে ডুবে নিখোঁজ হওয়ার দুইদিন পর রাজশাহীর নর্থ বেঙ্গল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষক মোখলেছুর রহমানের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার সকালে জেলার নলডাঙ্গা উপজেলার মোষমারী রেল ব্রিজের নিচ থেকে তার ভাসমান লাশ উদ্ধার করা হয়। নলডাঙ্গা থানার ওসি শফিকুর রহমান জানান, সকালে হালতি গ্রামের মানুষ নৌকাযোগে মাধনগর যাওয়ার সময় নৌকার মাঝিসহ লোকজন মোষমারী রেল ব্রিজের কাছে মৃতদেহ ভাসতে দেখে। তারা কাছে গিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। ভাসমান মৃতদেহটি গত শনিবার নিখোঁজ শিক্ষক মোখলেছুর রহমানের। উল্লেখ্য, গত শনিবার নলডাঙ্গার হালতি বিলে নৌকা ভ্রমণের সময় প্রাপ্তি সাহা নামের এক শিক্ষিকা নৌকা থেকে পড়ে যান। তাকে খুঁজতে গিয়ে রাজশাহীর আলুপট্টিস্থ নর্থবেঙ্গল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বিজনেস স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষক মোখলেছুর রহমান পানিতে তলিয়ে যান। স্থানীয়রা শিক্ষিকা প্রাপ্তি সাহাকে উদ্ধার করলেও শিক্ষক মোখলেছুর রহমান নিখোঁজ থাকেন। পরে রাজশাহী থেকে ডুবুরি দল এসে তৎপরতা চালালেও শিক্ষক মোখলেছুর রহমানকে উদ্ধার করতে পারেনি। সোমবার সকালে হালতি বিলের মোষমারী রেল ব্রিজ এলাকা থেকে তার ভাসমান লাশ উদ্ধার করা হয়।
নাটোর,পানিতে ডুবে মৃত্যু
মোখলেছুর রহমান
national
https://www.bhorerkagoj.com/2021/08/09/%e0%a6%97%e0%a6%a3%e0%a6%9f%e0%a6%bf%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a7%9f-%e0%a6%85%e0%a6%ac%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%ac%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%a5%e0%a6%be%e0%a6%aa%e0%a6%a8%e0%a6%be-%e0%a6%ae%e0%a6%be/
গণটিকায় অব্যবস্থাপনা, মানুষ লাইনে দাঁড়িয়ে টিকা পাচ্ছে না: রিজভী
গণটিকা দেখে বিএনপি হিতাহিত জ্ঞান হারিয়েছে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের এই বক্তব্যের জবাবে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বিএনপির কোনো নেতা জ্ঞান হারিয়ে হাসপাতালে গেছেন এটা কি দেখাতে পারবেন? আপনারা গণটিকার নামে যে অব্যাবস্থাপনা তৈরি করেছেন, হাজারো মানুষ লাইনে দাঁড়িয়ে টিকা পাচ্ছে না। আগে যারা রেজিস্ট্রেশন করেছে তারা এসএমএস পাচ্ছে না। এসব আড়াল করতেই বিরোধী দলকে টার্গেট করছেন। সোমবার (৯ আগস্ট) দুপুরে গাজীপুর মহানগর বিএনপির কোভিড-১৯ হেল্প সেন্টার থেকে ওষুধ ও চিকিৎসা সামগ্রী বিতরণ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অনলাইনে যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় তিনি বলেন, প্রকৃতপক্ষে মানুষকে টিকা দিতে না পেরে বিরোধী দলকে দোষারোপ করে সরকার পার পেতে চাচ্ছে। সরকারের দুর্নীতি, লুটপাট, অনিয়ম ঢাকতেই হাছান মাহমুদ সাহেবরা এসব কথা বলছেন। তাদের কথার মধ্যে দিয়েই এটা প্রমাণিত। দেশব্যাপী গণটিকার জন্য যে ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া দরকার তা তারা পারেননি। তারা আমলা নির্ভর হয়ে পড়েছেন। সেজন্য করোনার সহযোগিতা দরিদ্র জনগোষ্ঠি পাচ্ছে না। বিএনপির এই নেতা বলেন, মফস্বলে যারা করোনায় আক্রান্ত তারা ওষুধ, সুরক্ষা সামগ্রী কিছুই পাচ্ছে না। হাসপাতালে কোনো চিকিৎসা পাচ্ছে না, অক্সিজেন পাচ্ছে না। একটা বিপন্ন অবস্থা। হাছান মাহমুদ সাহেবরা এসব এড়িয়ে যাওয়ার জন্য বিরোধীদলকে টার্গেট করেন। নিজের টিকা নেওয়ার বিষয়টি ব্যাখ্যা করে রিজভী বলেন, হাছান মাহমুদ সাহেব আমাকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, লজ্জা শরম ভেঙে প্রকাশ্যে টিকা নিচ্ছেন। আমার কাছে মনে হয়েছে যে আওয়ামী লীগের মন্ত্রী এমপিরা নিশিরাতের ভোট করে কানেও কম শোনেন, চোখেও কম দেখেন। না হলে কে কি বক্তব্য রাখছেন সেটা ভালো করে তারা শোনেন না। আমরা বলেছি অ্যাস্ট্রাজেনেকার যে টিকা ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট বানিয়েছে সেই টিকা নেব না। কারণ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যম বলেছে ওই টিকা ট্রায়াল বেসিসে বাংলাদেশে পাঠিয়েছে। অর্থাৎ আমাদেরকে গিনিপিগের মতো ব্যবহার করা হবে। সেজন্য আমি বলেছিলাম যে সেরামের টিকা নেব না। সেই মার্চের দিকে যে বক্তব্য দিয়েছিলাম সেটা মন্ত্রী ভালোভাবে শুনেননি। সেজন্য উল্টাপাল্টা কথা বলছেন। আমি এখন যে টিকা নিয়েছি সেটা মডার্নার টিকা। এ সময় গাজীপুর মহানগর বিএনপির আহবায়ক সালাহ উদ্দিন সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, গাজীপুর মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব মো. সোহরাব উদ্দিন, প্রথম যুগ্ম-আহবায়ক মো. শওকত হোসেন সরকার, যুগ্ম আহবায়ক মো. হান্নান মিয়া হানু, জয়নাল আবেদীন তালুকদার, সরকার জাভেদ আহমদ সুমন, রাশেদুল ইসলাম, সদস্য মো. আব্দুর রহিম খান, মো. রবিউল আলম, সাজ্জাদুর রহমান, শাহাদাত হোসেন শাহিন, অ্যাডভোকেট মনির হোসেন ও আব্দুর রহিম।
null
রুহুল কবির রিজভী ( )
national
https://www.ajkerpatrika.com/45868/%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%89%E0%A6%9F%E0%A6%BF-%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%A8-%E0%A6%AC%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A7-%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%B9%E0%A7%80%E0%A6%A8-%E0%A6%B9%E0%A6%9A%E0%A7%8D%E0%A6%9B%E0%A7%87-%E0%A6%86%E0%A6%AB%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%A8-%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A6%B0%E0%A6%BE
বিউটি স্যালন বন্ধ, কর্মহীন হচ্ছে আফগান নারীরা
কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পরপরই তালেবান সদস্যরা এসেছিলেন সাদাফের (ছদ্মনাম) বিউটি স্যালনে। তবে কোনো রূপচর্চার কাজে নয়, বরং তাঁর স্যালনটি ভেঙে দিতে। আর তাঁরা তা ভেঙেও দিয়েছেন। এখন সাদাফকে তাঁর উপার্জনের উপায় নিয়ে ভাবতে হচ্ছে। এ অবস্থা শুধু সাদাফেরই নয়, সাদাফের মতো স্যালন পেশার সঙ্গে জড়িত হাজার হাজার আফগান নারীর আয়ের একমাত্র পথ এখন ঘোর অনিশ্চয়তায়।গত ১৫ আগস্ট আফগানিস্তানের দখল নেয় তালেবান। এর মধ্যে তারা সরকার গঠনও করেছে। আর সরকার গঠনের পরপরই সারা আফগানিস্তানে ইসলামি শাসন কায়েমের নামে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বিউটি স্যালনগুলো। এর আগে ১৯৯৬ থেকে ২০০১ পর্যন্ত তালেবান শাসনামলে আফগানিস্তানের সব বিউটি স্যালন বন্ধ করে দেওয়া হয়। এমনকি নারীদের পোশাক-পরিচ্ছদ এবং মুখ আবৃত করার জন্য কঠোর আইন প্রণয়ন করা হয়। আইন ভঙ্গকারীকে প্রকাশ্যে বেত্রাঘাত করা হতো। সে সময় গান, নাচ তো দূরের কথা, এমনকি টেলিভিশন দেখাও নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।২০০১ সালের পর তালেবান সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর শুরু হয় মার্কিন সমর্থিত সরকারের শাসন। এর পরপরই সারা দেশের সমস্ত স্যালন খুলে দেওয়া হয়, যা অনেক নারীর কর্মসংস্থান তৈরিতে সহায়তা করে। সে সময় জাতিসংঘের একটি সংস্থা ও আফগান সরকারের অর্থায়নে ছয় মাসের একটি বিউটি প্রশিক্ষণ কোর্স চালু হয়েছিল। এই কর্মশালার মাধ্যমে প্রশিক্ষণ নিয়ে অনেক নারী উপার্জনের উৎস হিসেবে বেছে নেন বিউটি স্যালন পেশাকে, যা পরে অনেক লাভজনক একটি পেশায় পরিণত হয়। এই পেশা থেকে একেকজন স্যালন মালিক মাসে বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৬ থোকে ২৪ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করতেন, যা তাঁদের স্বাবলম্বী করে তুলেছিল এবং সংসারের আয়ের অন্যতম উৎস হিসেবে গণ্য হয়েছিল। কিন্তু এখন এ সবই অতীত।এবার ক্ষমতায় আসার পর তালেবান কর্মকর্তারা বলেছেন, তাঁরা তাঁদের মৌলবাদী নীতিতে আর ফিরবেন না। নারীরা ইসলামি আইন অনুযায়ী কাজ করতে পারবেন। কিন্তু এর অর্থ কী, তা স্পষ্ট করেননি তাঁরা। এমনকি তালেবানের পক্ষ থেকে স্যালন ব্যবসা সম্পর্কেও কোনো বিবৃতি আসেনি।বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন লেখার শুরুতে যে সাদাফের কথা উল্লেখ করা হয়েছে, তাঁর বিউটি স্যালনের উদাহরণ উপস্থাপন করেছে। এতে বলা হয়, তালেবান কাবুল দখল করার কিছুক্ষণ পরই বন্দুকধারীরা সাদাফের বিউটি সেলুন পরিদর্শন করে। স্যালনের সামনের জানালা ভাঙার আগে তারা তাঁকে মুখে গুলি করার হুমকি দেয়। সে সময়ের পরিস্থিতি বর্ণনা করতে গিয়ে ৪০ বছর বয়সী এই নারী বলেন, 'আমি সত্যিই কাঁপছিলাম এবং ভীষণ ভয় পেয়েছিলাম। আমি এর পর থেকে বাড়িতেই ছিলাম।'সাদাফ জানান, ২০১৫ সালে হার্ট অ্যাটাকের কারণে তাঁর স্বামী মারা যাওয়ার পর তিনি একজন হেয়ারড্রেসার হিসেবে কাজ শুরু করেন। এই কারণে নিজের পাঁচ সন্তানের ভরণপোষণের কথা ভেবে তাঁকে তাঁর দেবরকে বিয়ে করতে হয়নি, যা আফগানিস্তানের মতো পুরুষতান্ত্রিক দেশের অনেক বিধবা নারীর সাধারণ ভাগ্য। তিনি কাবুল থেকে ফোনে রয়টার্সকে বলেন, 'অর্থ একজন নারীর জন্য সবকিছু, এটা অনেক বড় শক্তি। এই কাজ আমাকে আমার স্বামীর পরিবারে মর্যাদা দিয়েছে। আমি আমার অধিকারের পক্ষে দাঁড়াতে পেরেছি এবং আমার সন্তানদের সাহায্য করতে পেরেছি।'অন্য স্যালনের মতো সাদাফের ব্যবসাও শুধু সৌন্দর্য সেবা প্রদান করেনি। বরং এটা ছিল নারীদের মিলনস্থল। আফগানিস্তানের এই বিউটি স্যালনগুলো নারীদের শ্বাস ফেলার জায়গা বলা যায়। এখানে এসে অনেকেই তাদের সমস্যা, আশা ও আশঙ্কার কথা অকপটে বলে। সাদাফ বলেন, 'কখনো কখনো হাসি-ঠাট্টায় মুখর হয়ে উঠত আমার সেলুন। আবার অনেক গ্রাহক সেবা নিতে এসে তাঁদের দুঃখের কথা বলে কান্নাও করতেন। কাজ করার সময় আমি বলিউড ও আফগান গান বাজাতাম।'সাদাফের মতো আরেক সেলুন ব্যবসায়ী উত্তরাঞ্চলীয় শহর মাজার-ই-শরীফের মদিনা (ছদ্মনাম)। রয়টার্সকে তিনি বলেন, 'আমার স্যালনে বন্ধুর অভাব ছিল না।'কাজের সময় মদিনা গান শুনতেন। আর তাঁর কাছে সেবা নিতে আসা নারীদের তিনি আপ্যায়নও করতেন। এখন তিনি বন্ধুত্বের অভাব অনুভব করছেন বলে জানান। তিনি বলেন, 'আমার একটি কফি টেবিল ছিল, যেখানে মহিলারা এক কাপ চা, কফি কিংবা ঠান্ডা পানীয় নিয়ে আড্ডা দিত। আমরা এর নাম দিয়েছিলাম গসিপ কর্নার।মদিনা তাঁর স্যালনে ২৯ বছর বয়সী এক মায়ের ছবি এঁকে রেখেছিলেন। তালেবান সদস্যরা সেই আঁকা ছবিসহ স্যালনের সব ছবি মুছে দিয়েছে। তিনি বলেন, 'এটি আমাকে মানসিকভাবে অনেক প্রভাবিত করেছে। আমি আমার গ্রাহকদের হারিয়েছি, যাদের অধিকাংশই সত্যি ভালো বন্ধু হয়ে গিয়েছিল আমার। এখন আমি আমার ট্যাক্সি চালক স্বামীর ওপর নির্ভরশীল। পরিস্থিতি খুব তাড়াতাড়ি আগের মতো স্বাভাবিক হবে-আমি তা আশা করি না।'শুধু যে আয়ের উপায় হারিয়েছেন এই নারীরা, তা নয়। তাঁরা এমনকি প্রাণসংশয়েও রয়েছেন। নানা শঙ্কা এখন তাঁদের ঘিরে রেখেছে। মদিনার কথাই ধরা যাক। তাঁর ভাষ্য, 'আমার পেশার কারণে আমি এখন ঝুঁকিতে আছি। তালেবান মনে করে আমি পাপ করছি। তাঁরা মনে করে, জনসাধারণের মধ্যে মেকআপ পরা একজন নারী একজন পুরুষের কামভাব জাগিয়ে তুলতে পারে। যখন তালেবান সর্বশেষ ক্ষমতায় ছিল, তারা মাঝেমধ্যে নখে নেলপালিশ লাগানোর জন্য নারীদের আঙুল কেটে ফেলত। আর গোড়ালি বা পা উন্মুক্ত করার জন্য বেত্রাঘাত করত।'গোপন স্যালনক্ষমতাধরদের জন্য অবশ্য সব নিয়মই আলাদা। গেলবার তালেবান শাসনামলে কাবুলে নানা গোপন সেলুন গড়ে উঠেছিল। প্রকাশ্যে সেলুন চালানোর ওপর তালেবান নিষেধাজ্ঞা থাকলেও এসব স্যালনে কিন্তু তালেবান নেতাদের স্ত্রী-কন্যারা ঠিকই যেত। তাঁরা সেখানে সেজেগুজে আসতেন। এই সাজাটা কিন্তু স্বাভাবিকই।কাবুলের বাসিন্দা ৬৪ বছর বয়সী শায়মা আলী বলেন, 'আফগান নারীরা সব সময় তাদের চেহারা সম্পর্কে বিশেষভাবে সচেতন। ১৯৯০ সালে তালেবান নেতারা বিউটি পারলার বন্ধ করে দেন। তখন কিছু বিউটিশিয়ান গোপন সেলুন স্থাপন করেন। এমনকি তালেবান নেতাদের স্ত্রীরাও তাঁদের সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য আসতেন এসব গোপন স্যালনে। সে সময় গোপনে চলা এ স্যালনগুলো তালেবান শাসনের কারণে শিক্ষা ও কাজ থেকে বঞ্চিত হওয়া নারীদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ আয়ের উৎস হিসেবে কাজ করত। এখন আবার সেই পরিস্থিতি এসেছে। বিউটি স্যালনগুলো বন্ধ হওয়ায় অনেক আফগান নারীকেই এখন নির্ভর করতে হচ্ছে তাঁদের স্বামীর আয়ের ওপর।'শায়মা আলী অতীতের প্রসঙ্গ টেনে বলছেন, আগের মতো গোপন সেলুন এখন আবার প্রতিষ্ঠা পাবে। কিন্তু বাস্তবতা হলো এরই মধ্যে এ ধরনের গোপন সেলুন যাত্রা করেছে আফগানিস্তানে। কারণ, আফগান নারীরা দ্রুত বুঝে গেছেন, মুখে তালেবান নেতারা যা-ই বলুন না কেন, নারী অধিকার প্রশ্নে তাঁরা খুব একটা নড়বেন না। একেক স্থানে তারা একেক নিয়ম জারি করছে। তালেবানের যে অংশটি উদার মনোভাব পোষণ করে, তারা কিছুটা কোণঠাসা হয়ে পড়েছে। ফলে আফগান কর্মজীবী নারীরা নিজেদের মতো করে টিকে থাকার রাস্তা খুঁজছেন। গোপনে সেলুন চালানো তেমনই একটি উপায়। এ উপায়ও বন্ধ করে দিলে তাঁরা কোথায় দাঁড়াবেন, তা তাঁরা জানেন না। সাদাফ যেমনটা বললেন-'তারা আমাদের কাজ করতে না দিলে, আমাদের পরিবারের খাবার দিক।'
এশিয়া,আফগানিস্তান,নারী,তালেবান,কর্মসংস্থান
কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পরপরই আফগানিস্তানের রূপচর্চা কেন্দ্রগুলোর সামনে থাকা নারীদের বিভিন্ন পোস্টার ঢেকে দেয় তালেবান সদস্যরা।
international
https://www.bd-pratidin.com/sports/2021/07/03/666121
ইনস্টাগ্রামে উপার্জনে শীর্ষে রোনালদো
এবারের ইউরো কাপে শেষ হাসি হাসতে পারেননি ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। প্রি কোয়ার্টার ফাইনালেই ছিটকে যেতে হয়েছে পর্তুগালকে। তবে রোনালদো ছিটকে যেতেই অনেকটাই গ্ল্যামার হারিয়েছে টুর্নামেন্ট। এরই মধ্যে খবর তারকাদের মধ্যে রোনালদো সব থেকে বেশি আয় করেন ইনস্টাগ্রাম থেকে। ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্ট থেকে সবচেয়ে বেশি আয় এই পর্তুগিজ তারকার। প্রত্যেক পোস্টে তার আয় হয় ১.৬ মিলিয়ন ডলার। 'দ্য রক' হিসেবেই তিনি পরিচিত সবার কাছে। তার একটি পোস্ট থেকে আয় ১.৫২ মিলিয়ন ডলার। আর এই তালিকায় মেসি রয়েছেন ৭ নম্বরে। একটি পোস্ট থেকে তার আয় হয় ১.১৬ মিলিয়ন ডলার। বিডি প্রতিদিন/এমআই
ইনস্টাগ্রামে, উপার্জনে, শীর্ষে, রোনালদো
ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো।
sports
https://www.ajkerpatrika.com/113819/%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%95%E0%A7%8B%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%BE%E0%A6%AE-%E0%A6%AB%E0%A6%BE%E0%A6%89%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A1%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%A8%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A6%A8%E0%A7%80-%E0%A6%85%E0%A6%A8%E0%A7%81%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%A0%E0%A6%BE%E0%A6%A8
লামায় কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান
বান্দরবানের লামায় কোয়ান্টাম কসমো স্কুল ও কলেজের ২০ বছর পূর্তি উপলক্ষে দুই দিনের শিক্ষক-অভিভাবক-শিক্ষার্থীর পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হচ্ছে। কোয়ান্টামের লামা সেন্টারে গতকাল শনিবার অনুষ্ঠানের প্রথম দিনে প্রধান অতিথি হিসেবে এর উদ্বোধন করেন বরেণ্য কথাসাহিত্যিক ও মনোরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক আনোয়ারা সৈয়দ হক। দেশের নানা জায়গা থেকে আসা সহস্রাধিক অতিথি অনুষ্ঠানে যোগ দেন।অনুষ্ঠানে বক্তব্য আরও দেন কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের পরিচালক মোটিভেশন এম রেজাউল হাসান। এ ছাড়া শিক্ষকবৃন্দ ও পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। শেষে প্রধান অতিথি প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের নিয়ে কোয়ান্টাম কসমো স্কুল ও কলেজের শিক্ষা ও ক্রীড়ায় সাফল্যের মেডেল ও স্মারক নিয়ে সংগ্রহশালা 'হল অব গ্রাটিচ্যুড' পরিদর্শন করেন।প্রতিষ্ঠানের বিশেষ দিন উদ্যাপন উপলক্ষে কোয়ান্টাম কসমো স্কুল ও কলেজের ক্যাম্পাসে শোভাযাত্রা, ব্যান্ড, ডিসপ্লে প্রদর্শন করা হয়। স্মৃতিচারণ, সম্মাননা-সংবর্ধনা ও উপহার বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজনও ছিল আলাদা করে। সন্ধ্যায় নবনির্মিত 'কোয়ান্টা মঞ্চে' জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী এস আই টুটুল ও তার ব্যান্ড দল ধ্রুবতারা সংগীত পরিবেশন করে। আজ রোববার বিকেলের পর আনুষ্ঠানিকভাবে এই আনন্দ উৎসবের সমাপ্তি ঘটবে।জানা গেছে, ২০০১ সালে মাত্র ৭ জন ছাত্র নিয়ে কোয়ান্টাম কসমো স্কুলের যাত্রা শুরু। সে সময়ে প্রতিষ্ঠানটির নাম ছিল কোয়ান্টাম শিশুকানন। ২০ বছরের পরিক্রমায় শিশুকানন এখন কোয়ান্টাম কসমো স্কুল ও কলেজ। বর্তমানে এর শিক্ষার্থী সংখ্যা আড়াই হাজারেও বেশি। শিক্ষার্থীদের বেশির ভাগই শিশু বয়সে এখানে ভর্তি হয়। তারপর কারও ১২ বছর, কারও ১৩-১৪ বছর এই ক্যাম্পাসে কাটে। ২০ বছর পূর্তিতে স্কুলটির নতুন-পুরোনো সকল কোয়ান্টাম নিয়েই পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান 'ঘরে ফেরার আনন্দ উৎসব ২০২২ '-এর আয়োজন করা হয়েছে।
বান্দরবান,চট্টগ্রাম বিভাগ,লামা,ছাপা সংস্করণ,চট্টগ্রাম সংস্করণ,খাগড়াছড়ি বান্দরবান রাঙামাটি
লামায় কোয়ান্টাম সেন্টারে গতকাল কোয়ান্টাম কসমো স্কুল ও কলেজের পুনর্মিলনীতে গতকাল কথাসাহিত্যিক ও মনোরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক আনোয়ারা সৈয়দ হকের সঙ্গে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
national
https://www.bd-pratidin.com/coronavirus/2020/02/23/504712
করোনাভাইরাস, প্রদর্শনী ও সম্মেলন স্থগিত হওয়ায় ক্ষতি ২.৫ ট্রিলিয়ন ডলার
মহামারী করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্বব্যাপী ২৪টির বেশি প্রদর্শনী ও সম্মেলন স্থগিত ও বাতিল হয়েছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে হোটেল, বিমান সংস্থা, বিনোদন, বিপণন, রেস্তোরাঁসহ বিভিন্ন ব্যবসা। ফলে এতে প্রায় ২.৫ ট্রিলিয়ন ডলার সমপরিমাণ বাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। সামনের দিনগুলোতে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। গত বছরের ডিসেম্বরে কভিড-১৯ নামের করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রও চীন ও হংকংয়ের সঙ্গে বিমান চলাচল নিষিদ্ধ করে। এতে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রে বেশ কয়েকটি বাণিজ্যিক প্রদর্শনী ও সম্মেলন বাতিল ও স্থগিত হয়। করপোরেশনগুলো বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন সম্মেলনে না যেতে নির্বাহীদের প্রতি নির্দেশনা দিয়েছেন। বিডি প্রতিদিন/ফারজানা
null
হুবেই প্রদেশে যাওয়ার আগে বিদায় জানানো হচ্ছে মেডিকেল কর্মীদের
life-health
https://www.ajkerpatrika.com/2000/%E0%A6%9F%E0%A6%BF-%E0%A6%9F%E0%A7%8B%E0%A7%9F%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%A6%E0%A7%81%E0%A6%87-%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%B0
টি-টোয়েন্টিতে দুই নম্বরে বাবর
বিরাট কোহলিকে টপকে কদিন আগেই আইসিসির ওয়ানডে ব়্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে উঠে এসেছেন বাবর আজম। ওয়ানডের পর এবার টি-২০ ব়্যাঙ্কিংয়েও একধাপ এগিয়ে দুইয়ে পাকিস্তান অধিনায়ক। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে চার ম্যাচের টি-টোয়েন্টি ধারাবাহিক ভালো করার পুরষ্কার পেলেন বাবর।দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে এক ফিফটি আর এক সেঞ্চুরিতে বাবর করেছেন ২১০ রান। টি-২০ ব্যাটসম্যানদের তালিকায় আগের মতোই পাঁচ নম্বরে রয়েছেন ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলি । আগের মতোই র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে আছেন ইংল্যান্ডের ডেভিড মালান। বাবরকে জায়গা ছেড়ে দিয়ে এক ধাপ পিছিয়ে অ্যারন ফিঞ্চের অবস্থান তিন নম্বরে। চারে রয়েছেন ডেভন কনওয়ে। কোহলি নিজের জায়গা ধরে রাখলেও পিছিয়েছেন লোকেশ রাহুল। তিনি ছয় থেকে নেমে গেলেন সাত নম্বরে।বাবরের মতো ওয়ানডের পর টি-টোয়েন্টিতেও এগিয়েছেন আরেক পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান ফখর জামান। ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত সংস্করণে ১৭ ধাপ এগিয়ে এখন ৩৩তম এই পাকিস্তানি ওপেনার। রাংকিয়ে উন্নতি হয়েছে মোহাম্মদ রিজওয়ানেরও । আট ধাপ এগিয়ে ১৫ নাম্বারে পাকিস্তানি উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজ জয়ে বড় ভূমিকা ছিল রিজওয়ানের । সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৭৪ রানে অপরাজিত ছিলেন, তৃতীয় ম্যাচেও করেছেন ৭৩।এগিয়েছে তিন পেসার ফাহিম আশরাফ, মোহাম্মদ নেওয়াজ আর হারিস রউফ। ক্যারিয়ারসেরা ১১তম অবস্থানে থাকা শাহিন শাহ আফ্রিদীর অবস্থান অপরিবর্তিত। উন্নতি হয়েছে জর্জ লিন্ডের। দক্ষিণ আফ্রিকার এই বাঁহাতি স্পিনার ৭৮ ধাপ এগিয়ে ২৯তম অবস্থানে উঠে এসেছেন। র্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি হয়েছে এইডেন মার্করাম ও ইয়েনেমান মালানের।
পাকিস্তান,ক্রিকেট,দক্ষিণ আফ্রিকা,আইসিসি,বিরাট কোহলি
ওয়ানডের পর টি-টোয়েন্টিতেও রাংকিয়ে উন্নতি বাবর আজমের। আইসিসি
sports
https://www.dailynayadiganta.com/cricket/389974/সেঞ্চুরিতে-বাজিমাত-সাব্বিরের
সেঞ্চুরিতে বাজিমাত সাব্বিরের
দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে বাজিমাত করেছেন সাব্বির রহমান। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে বাংলাদেশ। এই তিন ম্যাচের সিরিজে সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারীদের তালিকায় শীর্ষ পাঁচে বাংলাদেশের দু'জন আছেন। এরা হলেন- সাব্বির রহমান ও মোহাম্মদ মিথুন। বাকি তিনজন নিউজিল্যান্ডের। বুধবারের সেঞ্চুরির সুবাদেই সাব্বির দুই নম্বর স্থানে ওঠে এসেছেন। ৩ ম্যাচের ৩ ইনিংসে ২টি সেঞ্চুরিতে ২৬৪ রান করে এই তালিকায় শীর্ষে আছেন নিউজিল্যান্ডের মার্টিন গাপটিল। নেপিয়ারে সিরিজের প্রথম ম্যাচে অপরাজিত ১১৭ রান করেন তিনি। ক্রাইস্টচার্চে দ্বিতীয় ওয়ানডে ১১৮ রান করেন গাপটিল। তবে তৃতীয় ম্যাচে ২৯ রানের বেশি করতে পারেননি গাপটিল। তারপরও সিরিজ সেরার পুরস্কার জিতেছেন গাপটিল। তালিকার দ্বিতীয়স্থানে রয়েছেন সাব্বির। ১টি সেঞ্চুরিতে ১৫৮ রান করেন তিনি। প্রথম দুই ওয়ানডেতে ১৩ ও ৪৩ রান করেন তিনি। তবে তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে সেঞ্চুরি হাকিয়েছেন সাব্বির। ১০২ রানের নান্দনিক ইনিংস খেলেন তিনি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এটিই ছিলো সাব্বিরের প্রথম সেঞ্চুরি। তৃতীয় ও চতুর্থস্থানে আছেন যথাক্রমে নিউজিল্যান্ডের রস টেইলর ও হেনরি নিকোলস। টেইলর ১৩৫ ও নিকোলস ১৩১ রান করেন। ২ ম্যাচে ১১৯ রান করে তালিকার পঞ্চমস্থানে রয়েছেন মোহাম্মদ মিথুন। ইনজুরির কারনে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে খেলতে পারেননি মিথুন। খেলোয়াড় ম্যাচ রান গড়মার্টিন গাপটিল (নিউজিল্যান্ড) ৩ ২৬৪ ১৩২.০০সাব্বির রহমান (বাংলাদেশ) ৩ ১৫৮ ৫২.৬৬রস টেইলর (নিউজিল্যান্ড) ৩ ১৩৫ ১৩৫.০০হেনরি নিকোলস (নিউজিল্যান্ড) ৩ ১৩১ ৪৩.৬৬মোহাম্মদ মিথুন (বাংলাদেশ) ২ ১১৯ ৫৯.৫০। শীর্ষ তিন বোলারই নিউজিল্যান্ডেরআজ শেষ হওয়া বাংলাদেশের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী তালিকায় শীর্ষ তিনজনই নিউজিল্যান্ডের। এরা হলেন- টিম সাউদি, ট্রেন্ট বোল্ট ও লুকি ফার্গুসন। সাউদি-বোল্ট ৬টি করে উইকেট নিয়েছেন। ফার্গুসন নিয়েছেন ৫টি উইকেট। এই সিরিজে মাত্র ১টি ম্যাচ খেলেছেন সাউদি। সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচেই খেলার সুযোগ পান তিনি। ৬৫ রানে ৬ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হন সাউদি। শীর্ষ পাঁচের মধ্যে বাংলাদেশের বোলার হিসেবে আছেন শুধুমাত্র কাটার মাস্টার মোস্তাফিজুর রহমান। ৪ উইকেট নিয়ে চতুর্থস্থানে রয়েছেন ফিজ। তবে আজ ৯৩ রান দিয়ে ক্যারিয়ারের সবচেয়ে খারাপ দিনটি কাটিয়েছেন। বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড ওয়ানডে সিরিজে শীর্ষ পাঁচ বোলার : খেলোয়াড় ম্যাচ রান উইকেটটিম সাউদি (নিউজিল্যান্ড) ১ ৬৫ ৬ট্রেন্ট বোল্ট (নিউজিল্যান্ড) ৩ ১২৬ ৬লুকি ফার্গুসন (নিউজিল্যান্ড) ৩ ১৩৭ ৫মোস্তাফিজুর রহমান (বাংলাদেশ) ৩ ১৭১ ৪ম্যাট হেনরি (নিউজিল্যান্ড) ২ ৭৮ ৩।
null
সাব্বির রহমান
sports
https://www.ajkerpatrika.com/98429/%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%B8%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%A4%E0%A6%BE-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%BE-%E0%A6%9B%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A7%87-%E0%A6%86%E0%A6%9F%E0%A6%95
জামাতা বেচে দিলেন শ্বশুরের মরা মহিষ
কক্সবাজারের মহেশখালীতে মরা মহিষের মাংস বিক্রির অভিযোগে বাবা-ছেলেকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার বড় মহেশখালীর নতুন বাজার থেকে তাঁদের আটক করা হয়।আটকেরা হলেন কুতুবজোম ইউনিয়নের তাজিয়াকাটার নুর হাসেম (৬০) ও তাঁর ছেলে মনজুর আহমদ (৩৮)। তাঁরা মাংসের ব্যবসা করেন।মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল হাই এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।মহিষের মালিক আলী আকবর বলেন, গতকাল ভোরে তাঁর পালিত একটি মহিষ মারা যায়। সেটিকে পুঁতে ফেলার জন্য জামাতা আবদুল গফুরকে দায়িত্বে দেন। কিন্তু গফুর স্থানীয় মনজুর আহমদের কাছে মরা মহিষটি ২০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেন। পরে স্থানীয় নতুন বাজারে সেই মাংস বিক্রি করা হয়।খবর পেয়ে থানার পরিদর্শক মনীশ সরকারের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে মাংসবিক্রেতা মনজুর ও তাঁর বাবা নুর হাসেমকে আটক করে।মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল হাই বলেন, আটকদের ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এক মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি মাংসগুলো পুঁতে ফেলা হয়েছে।
কক্সবাজার,চট্টগ্রাম বিভাগ,মহেশখালী,ছাপা সংস্করণ,চট্টগ্রাম সংস্করণ,চট্টগ্রাম কক্সবাজার
জামাতা বেচে দিলেন শ্বশুরের মরা মহিষ
national
https://www.prothomalo.com/entertainment/song/রুনা-লায়লার-সুরে-আজ-থেকে-হরিহরণের-গান
রুনা লায়লার সুরে আজ থেকে হরিহরণের গান
কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী রুনা লায়লার সুরে তৈরি গানগুলোর মধ্যে আজ রাতে প্রকাশিত হতে যাচ্ছে ভারতীয় সংগীতশিল্পী হরিহরণের গাওয়া গানটি। রাত ৮টায় সিটি ব্যাংক ও প্রথম আলোর ফেসবুক পেজ এবং ইউটিউব চ্যানেলে অবমুক্ত হবে রুনা লায়লা ফিচারিং লেজেন্ডস ফরএভার অ্যালবামের 'কে বলে নেই ভালোবাসা' গানটি। গানটির কথা লিখেছেন মনিরুজ্জামান মনির আর সংগীতায়োজন করেছেন রাজা কাশ্যেফ। গানটি প্রসঙ্গে এক ভিডিও বার্তায় হরিহরণ বলেন, 'কে বলে নেই ভালোবাসা' কি সুন্দর গান, কি সুন্দর কম্পোজিশন। আর এই গানটি সুর করেছেন সুপার সং সেনসেশন রুনা লায়লা। আমি খুবই খুশি যে তিনি আমাকে এই গানটি গাইতে দিয়েছেন। এটি আমার জন্য বিরাট একটা সম্মানের ব্যাপার যে তাঁর সুরে গাওয়া এবং তাঁর সঙ্গে কাজ করা। আমি গানটি গেয়েছি। খুব উপভোগ করেছি। আমি নিশ্চিত, আপনারাও গানটি পছন্দ করবেন। হরিহরণের ভিডিওবার্তাটি দেখতে চাইলে কিউআর কোডটি স্ক্যান করুন।
বাংলা গান,রুনা লায়লা,সংগীত
রুনা লায়লা ও হরিহরণ। ছবি: প্রথম আলো
entertainment
https://samakal.com/whole-country/article/19127233/জনকের-সমাধিতে-২২-দেশের-৪২-অতিথির-শ্রদ্ধা
জাতির জনকের সমাধিতে ২২ দেশের ৪২ অতিথির শ্রদ্ধা
বিশ্বের ২২টি দেশ থেকে আসা ৪২ জন খ্যাতিমান লেখক, সাহিত্যিক ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব বুধবার বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধ পরিদর্শন করেছেন। পরে সন্ধ্যায় তারা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে 'ভিজিট বাংলাদেশ' কর্মসূচির আওতায় পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের আমন্ত্রনে ২২টি দেশ থেকে আগত স্বনামধন্য লেখক, সাহিত্যিক ও গণমাধ্যম ব্যাক্তিরা বলেছেন, সব দেশের মানুষ বঙ্গবন্ধুকে সম্মান করেন। বঙ্গবন্ধু এমন একজন মানুষ যেসব শ্রেণির মানুষের সাথে আন্তরিকতা ছিল। তার জীবনী সব মানুষকে অনুপ্রাণিত করে। এছাড়া এখানে আসা প্রত্যেক দেশের সাথে বাংলাদেশের সুসম্পর্ক রয়েছে। আমরা বাংলাদেশের আতিথিয়তায় মুগ্ধ। বাংলাদেশে এসে আমরা আনন্দিত। তাই বারবার আসতে চাই। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী 'মুজিববর্ষ ২০২০' উদযাপনের প্রাক্কালে বঙ্গবন্ধুর বর্ণাঢ্য জীবন ও অবিস্মরণীয় অবদান সম্পর্কে বহির্বিশ্বে কাছে তুলে ধরতে তারা এসেছেন। এ ছাড়াও তারা সমাধি সৌধ কমপ্লেক্স এলাকা পরিদর্শন করেন। এ প্রতিনিধি দলটি আগামী ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশে অবস্থান করবেন। এ সময় নাইজেরিয়ার দৈনিক ট্রাস্ট পত্রিকার জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ওলুমাইড সোলা ওগুনল্যাড, ইন্ডিয়ান কমনওয়েলথ সাংবাদিক এসোসিয়েশনের সভাপতি মহেন্দ্র বেদ, প্রেস ট্রাস্ট অফ ইন্ডিয়া পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি অসিম কামাল, জার্মানির সাহিত্যিক ইউরাস উনকাউফ, পর্তুগালের মার্কেটিং বিভাগের প্রফেসর জুলিও মেনডেস, পোল্যান্ডের শিক্ষক ও সাহিত্যিক রবার্ট জিওলেক, ফিলিপাইনের মানিলা কলেজের সহকারি ডিন ড. সুনিতা মুক্তি, নেপালের এপি১ টেলিভিশনের সহকারী এডিটর সামা থাপা, দক্ষিণ আফ্রিকার দি স্টার পত্রিকার শিক্ষা বিষয়ক রিপোর্টার টেবোগো মোনামা সহ ৪২ জন স্বনামধন্য লেখক, সাহিত্যিক ও গণমাধ্যম ব্যক্তি ও টুঙ্গিপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান সোলায়মান বিশ্বাস, পৌর মেয়র শেখ আহম্মেদ মির্জা, উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাকিব হাসান তরফদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
জাতির জনকের সমাধিতে শ্রদ্ধা,গোপালগঞ্জ
জাতির জনকের সমাধিতে ২২ দেশের ৪২ অতিথির শ্রদ্ধা
national
https://www.bd-pratidin.com/international-news/2019/10/22/468203
ভোটাধিকার থাকলে জনগণ কখনই ভুল সিদ্ধান্ত নেয় না
কানাডার জনগণ কনজারভেটিভকে বিকল্প হিসেবে গ্রহণ করেনি। লিবারেল পার্টি এবং জাস্টিন ট্রুডোকে নিয়ে নানা সমালোচনা সত্ত্বেও তারা আরো এক মেয়াদের জন্য ট্রুডোর হাতেই কানাডার শাসনভার ন্যস্ত রাখাটাকেই ভালো মনে করছেন। কানাডিয়ানরা লিবারেল পার্টি এবং জাস্টিন ট্রুডোর উপরই এতোটা আস্থা রাখলেন কেন? নির্বাচনের আগে আগে এসএনসি লাভালিনের কেলেঙ্কারিইতো ট্রুডোকে ডুবিয়ে দেয়ার জন্য যথেষ্ট ছিলো। মন্ট্রিয়লের 'স্পন্সরশীপ কেলেঙ্কারির' ধাক্কায় কানাডায় লিবারেলের ২৫ বছরের শাসনের অবসান ঘটেছিলো। পল মার্টিনকে ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছিলো কানাডিয়ানরা। কিন্তু এসএনসি লাভালিনের কেলেংকারি সত্ত্বেও জাস্টিন ট্রুডোকে তারা আরেক মেয়াদ সুযোগ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে লিবারেলকেও যে একেবারে ছেড়ে দিয়েছে তা নয়। ট্রুডোর বিকল্প নেতা না থাকায় জনগণকে ট্রডোর কাছেই ফিরে আসতে হয়েছে। তবে তাকে নিয়ন্ত্রিতও করে দিয়েছে। 'মেজোরিটি' থেকে ট্রুডোকে ডিমোশন দিয়ে 'মাইনরিটি' করে দেয়া হয়েছে। এটাই তো তার জন্য বড় শিক্ষা, বড় বার্তা। তার রাজনৈতিক পরিকল্পনা, কর্মসূচী অনুমোদনের জন্য তাকে অন্যের কাছে ধর্ণা দিতে হবে। 'মেজোরিটি থেকে মাইনরিটি'তে পদাবনতি- এই বার্তাটা জাস্টিন ট্রুডোকে বুঝতে হবে। বিগত চার বছরে তার অনেক পদক্ষেপ, অনেক কর্মসূচীই জনগণ পছন্দ করেনি, পছন্দ করেনি বলেই তার হাত পা বেঁধে দেয়া হয়েছে- এই বার্তাটা জাস্টিন ট্রুডো নিশ্চয়ই বুঝতে সক্ষম হবেন। জাস্টিন ট্রুডো এবং লিবারেল পার্টিকে অভিনন্দন জানাই। অভিনন্দন জানাই কানাডার জনগণকে, প্রাজ্ঞ এবং যৌক্তিক সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য। ভোটাধিকার থাকলে জনগণ কখনই ভুল সিদ্ধান্ত নেয় না। (ফেসবুক থেকে সংগৃহীত) বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন
null
শওগাত আলী সাগর
international
https://www.bhorerkagoj.com/2022/02/20/%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%ae%e0%a6%97%e0%a7%9c%e0%a7%87-%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%95%e0%a7%87-%e0%a6%b9%e0%a6%a4%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%be-%e0%a6%9b%e0%a7%87%e0%a6%b2%e0%a7%87-%e0%a6%86%e0%a6%9f/
রামগড়ে মাকে হত্যা, ছেলে আটক
খাগড়াছড়ির রামগড় পৌরসভার চৌধুরীপাড়া শ্বশানের পাশে পারিবারিক কলহের জের ধরে মায়ের কপাল আছড়িয়ে হত্যার অভিযোগে ঘাতক ছেলেকে আটক করেছে রামগড় থানা পুলিশ। শনিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টায় নিহতের বড় ছেলে মো. ইব্রাহিম (২৯) তার মা রহিমা বেগমের (৫৯) চুলের খোপা ধরে মাটিতে কপাল আছড়িয়ে জখম করলে ঘটনাস্থলে রহিমা বেগমের মৃত্যু হয়। ঘাতক ইব্রাহিম চৌধুরী পাড়ার বাসিন্দা মৃত আব্দুল জলিলের বড় ছেলে। নিহতের মেজ ছেলে সাইফুল ইসলাম জানান, তার বড় ভাই ইব্রাহিম প্রায় সময় মায়ের সঙ্গে ঝগড়া করতো। শনিবার রাত ৯টায় বাহির থেকে বাড়িতে এসে পুনরায় ঝগড়া করে। এসময় মা টয়লেট থেকে ঘরে ঢুকতে গেলে মাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে কপালে ও মুখে আঘাত করে হত্যা করে। এসময় বাড়িতে মা ও বড় ভাই ছাড়া কেউ ছিল না। তিনি তার মাকে হত্যাকারীর সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেন। রামগড় থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ শামসুজ্জামান জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে নিহতের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃত ইব্রাহিম তার মাকে হত্যার স্বীকারোক্তি দিয়েছে। ওসি আরও জানান, ইব্রাহিম তার মাকে হত্যা করে প্রতিবেশীদের ডেকে বলে তার মা মাথা ঘুরে পড়ে গেছে। পরে ঘরের লাইট অফ করে শুয়ে থাকলে সেখান থেকে তাকে গ্রেফতার করে আজ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
ছেলে আটক,মাকে হত্যা,রামগড়
রবিবার ঘাতক ইব্রাহিম চৌধুরীকে আটক করেছে পুলিশ।
national
https://www.ajkerpatrika.com/91587/%E0%A6%98%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%87%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A7%87-%E0%A6%96%E0%A7%81%E0%A6%B6%E0%A6%BF-%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A6%87-%E0%A6%B8%E0%A7%81%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4-%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%B0
ঘর পেয়ে খুশি সেই সুশান্ত হালদার
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার রাইপুর ইউনিয়নের হাড়িয়াদহ গ্রামের সেই অসহায় সুশান্ত হালদারের পরিবারকে ঘর উপহার দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। গত বুধবার বিকেলে উপজেলার ভাটপাড়ার ডিসি ইকোপার্ক আবাসন প্রকল্পের একটি ঘরের চাবি সুশান্ত হালদারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।ঘর পেয়ে সুশান্ত হালদার বলেন, 'আমি আজ খুবই আনন্দিত। প্রধানমন্ত্রীকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আমার পরিবারকে আর বাঁশ তলায় থাকতে হবে না।'চাবি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মৌসুমী খানমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এমএ খালেক। আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাজমুল আলম প্রমুখ।চলতি বছরের অক্টোবর মাসের ২২ তারিখে আজকের পত্রিকায় সুশান্ত ও তাঁর পরিবারকে নিয়ে 'বৃষ্টি হলেই পানি পড়ে সুশান্তের ঝুপড়ি ঘরে' শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এরপর বিষয়টি নজরে আসে উপজেলা প্রশাসনের। তারই ধারাবাহিকতায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সুশান্তের পরিবারের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হয়।
মেহেরপুর,গাংনী,ছাপা সংস্করণ,যশোর সংস্করণ,খুলনা সাতক্ষীরা
গাংনীর হাড়িয়াদহ গ্রামের সুশান্ত ও তাঁর পরিবারের কাছে গত বুধবার ঘরের চাবি হস্তান্তর করা হয়।
national
https://www.ajkerpatrika.com/102403/%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%B2-%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%AC%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A6%A8%E0%A6%BE-%E0%A6%95%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%9F%E0%A6%BF%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A6%AD%E0%A6%BE
হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা
সাতক্ষীরা জেলা সদর হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।গতকাল সোমবার বেলা ১১টার দিকে সদর হাসপাতালের সভাকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।এতে সভাপতিত্ব করেন, সদর হাসপাতালের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও সাতক্ষীরা-২ আসনের সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবি।বক্তব্য দেন সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন হুসাইন শাফায়েত, স্বাচিপের সভাপতি এস.এম মোখলেছুর রহমান, সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর আসাদুজ্জামান, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আসাদুজ্জামান বাবু প্রমুখ।
খুলনা জেলা,সাতক্ষীরা,হাসপাতাল,খুলনা বিভাগ,খুলনা,সাতক্ষীরা সদর,ছাপা সংস্করণ,যশোর সংস্করণ,খুলনা সাতক্ষীরা
হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা
national
https://www.bd-pratidin.com/minister-spake/2021/10/11/700445
শারদীয় দুর্গোৎসব বাংলাদেশে জাতীয় ঐক্যের প্রতীক : ধর্ম প্রতিমন্ত্রী
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান বলেছেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। বিশ্বে হানাহানি রোধ করে শান্তি ও সমৃদ্ধিসহ সকল জীবের কল্যাণ কামনায় বাঙালির অন্যতম উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসব বাংলাদেশে জাতীয় ঐক্যের প্রতীক। এই উৎসব হাজার বছরের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে ধারণ ও লালন করে আসছে। সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে দিনব্যাপী ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। জেলা প্রশাসন আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেছেন জেলা প্রশাসক মো. তৌফিক-ই-লাহী চৌধুরী। তিনি বলেন, হাজার বছরের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় বৈষম্যহীন সমাজ বিনির্মাণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আবহমানকাল থেকে এদেশে সকল ধর্মের মানুষ মুক্ত পরিবেশে নিজ নিজ ধর্ম নির্বিঘ্নে প্রতিপালন করে আসছে। আমরা বিশ্বাস করি, ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। ফরিদুল হক বলেন, হিন্দু ধর্মাবলম্বীরাও যুগ যুগ ধরে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সমানভাবে অংশগ্রহণ করে আসছেন। সরকার দুর্গাপূজা উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন পূজা মণ্ডপে আর্থিক অনুদান প্রদানসহ সকল প্রকার সহযোগিতা প্রদান করছে। দুর্গাপূজার প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো অশুভ শক্তিকে প্রতিহত করা এবং সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠায় আরাধনা করা। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মামুন আল ফারুকের সঞ্চালনায় প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন জেলা পুলিশ সুপার সরকার মো. কায়সার, জেলা পরিষদ প্যানেল চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম গোলদার, বোরহানউদিদ্দন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাইফুর রহমান, ভোলা প্রেসক্লাব সভাপতি এম হাবিবুর রহমান, জেলা ইমাম সমিতির সভাপতি মাওলানা মীর মো. বেলায়েত হোসেন, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অসীম কুমার সাহা, জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক অবিনাশ নন্দী, জেলা ইমান আকিদা সংরক্ষণ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাওলানা তাজুদ্দিন প্রমুখ। বিডি প্রতিদিন/এমআই
শারদীয়, দুর্গোৎসব, জাতীয়, ঐক্য, প্রতীক
ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণ কর্মসূচি।
politics
https://www.bhorerkagoj.com/2022/02/19/%e0%a6%b8%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%9a-%e0%a6%95%e0%a6%ae%e0%a6%bf%e0%a6%9f%e0%a6%bf%e0%a6%b0-%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%a7%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%ae%e0%a7%87-%e0%a6%95%e0%a7%8d%e0%a6%b7/
সার্চ কমিটির মাধ্যমে ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করতে চায় আ.লীগ: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, নির্বাচন কমিশন গঠন করা হচ্ছে। আমরা আগেই বলেছি, নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া নির্বাচন কমিশন গঠন করে কোনো লাভ নেই। নির্বাচন কমিশন গঠনে যে সার্চ কমিটি করা হয়েছে, তা জনগণের সঙ্গে প্রতারণা ছাড়া কিছুই নয়। এ কমিটির মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠন করে জনগণকে বোকা বানিয়ে ২০১৪ সালের মতো নির্বাচন করে আওয়ামী লীগ ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে চায়। শনিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে বিএনপির স্থায়ী কমিটি সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের 'স্মৃতির অ্যালবাম' বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। দেশে দুর্নীতি এখন ক্যানসার ব্যাধির মতো ছড়িয়ে পড়েছে উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, দেশে ভয়াবহভাবে দুর্নীতি ছড়িয়ে পড়েছে, যার নেতৃত্বে সরকার। কয়েকদিন আগে মন্ত্রীসহ দুজনের কথোপকথনের রেকর্ড ছড়িয়ে পড়েছে, সেখানেও দুর্নীতির কথা বেরিয়ে আসছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যরা দুর্নীতি করছেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে যারা কাজ করছেন, তারাও দুর্নীতি করছেন। এমন কোনো জায়গা নেই, যেখানে দুর্নীতি হচ্ছে না। আওয়ামী লীগ যতবার ক্ষমতায় এসেছে, গণতন্ত্র ধ্বংস করেছে অভিযোগ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ১৯৭১ সালে আমরা একটি স্বাধীন গণতান্ত্রিক দেশের স্বপ্ন দেখেছিলাম। আজকে গণতন্ত্রকে পুরোপুরি নির্বাসিত করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ মুখে গণতন্ত্রের কথা বললেও তারা সবসময় গণতন্ত্রকে ধ্বংসের জন্য কাজ করেছে। আওয়ামী লীগ যতবার ক্ষমতা এসেছে, ততবারই গণতন্ত্রকে ধ্বংসের জন্য কাজ করেছে। মির্জা ফখরুল আরো বলেন, আজকে এ সরকার আমাদের সব অর্জনগুলোকে ধ্বংস করে দিয়েছে। লড়াই করে আমাদের যে অর্জন স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র, সবকিছুই তারা ধ্বংস করে দিয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনোয়ার উল্লাহ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটি সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ, ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমানুল্লাহ আমান, দক্ষিণের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ড. এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম প্রমুখ।
null
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
national
https://www.prothomalo.com/entertainment/entertainment-interview/বুবলীর-সঙ্গে-কথা-না-বলার-কী-আছে
বুবলীর সঙ্গে কথা না বলার কী আছে
সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে শাকিব খান অভিনীত ছবি 'শাহেনশাহ'। ছবিতে তাঁর নায়িকা নূসরাত ফারিয়া ও রোদেলা জান্নাত। ছবিটি নিয়ে নিজের প্রত্যাশা, নতুন ছবি, বুবলীর সঙ্গে যোগাযোগসহ নানা বিষয় নিয়ে প্রথম আলোর সঙ্গে কথা বললেন শাকিব খান। অনেকক্ষণ ধরে ফোন ওয়েটিং পেলাম। প্রেম করছেন নাকি?চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি (হাসতে হাসতে)। জীবনে অত প্যাঁচাল করে লাভ নেই। নিজে ভালো থাকো, আরামে থাকো, শান্তিতে থাকো। মন যা চায় তাই করো, না চায় করো না। এই কয়েক দিন আগে ফেসবুক ঘাটতে ঘাটতে শাবনূরের খবর দেখলাম। স্বামীকে তালাক দিয়েছেন। শাবনূরের সঙ্গে আপনি বেশ কিছু ছবি করেছেন। এক সময় আপনাদের সম্পর্ক ভালো ছিল। তাঁদের দাম্পত্যকলহ নিয়ে আপনি কি কিছু জানতেন?শুনেছিলাম। দু-তিন বছর আগে থেকে স্বামী-স্ত্রী সম্পর্ক ভালো যাচ্ছিল না। মনে হয় তাঁরা আলাদাও থাকতেন। সম্প্রতি হয়তো আনুষ্ঠানিকভাবে তালাকের বিষয়টি সামনে এসেছে। এ বিষয়ে যদিও আমি পুরোপুরি জানি না, তবে আমার কথা হচ্ছে, ভালো থাকার জন্য যার যেমন ইচ্ছা, তাঁর সেভাবেই থাকা উচিত। দিন দিন চারপাশের সবকিছুই তো জটিল হয়ে যাচ্ছে। বেশ কিছু দিন ধরে শোনা যাচ্ছে আপনার নায়িকা বুবলী নাকি অন্তঃসত্ত্বা। সন্তান প্রসবের জন্য আপনি ২৫ হাজার ডলার খরচ করে তাঁকে দেশের বাইরে পাঠিয়েছেন। এ নিয়ে কিছু বলবেন?না, কিছুই বলব না। কারণ যারা এ নিয়ে মাতামাতি করছেন, তারা গুজবটা ক্যাশ করতে চান, নিজেদের টিআরপি বাড়াতে চান। আমি যখন এটা নিয়ে কথা বলব, যারা গুজব রটাচ্ছেন তাদের পাত্তা দেওয়া হয়ে যাবে। সুতরাং যার যা ইচ্ছা, করতে থাকুক। দেখবেন, এক সময় আপনা-আপনি এই রটনা বন্ধ হয়ে গেছে। 'বীর' ছবিটি মুক্তির পর বুবলীর সঙ্গে আপনার কথা হয়েছে?কেন কথা হবে না? বুবলীর সঙ্গে কথা হয়। তিনি আমার সহশিল্পী। আমার সঙ্গে ১১টি ছবিতে নায়িকা হিসেবে অভিনয় করেছেন বুবলী। কথা না বলার কী আছে! আপনার প্রযোজনা সংস্থা এসকে ফিল্মস থেকে 'প্রিয়তমা' নামে একটি সিনেমা নির্মাণের কথা শোনা যায়। ছবির প্রিয়তমা, মানে নায়িকা হতে চেয়েছেন বুবলী। এ ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত হয়েছে?দুই বছর আগে ছবিটি করতে চেয়েছিলাম। তখন বুবলীর বয়স আরও কম ছিল। ওই সময় ছবিটি তৈরি করলে বুবলী অভিনয় করতে পারত। এখন তাঁকে দিয়ে চরিত্রটি করানো যাবে না, মানাবেও না। এখানে একেবারেই নতুন একটি মেয়ে লাগবে। যার অভিষেকই হবে 'প্রিয়তমা' দিয়ে। বেশ কয়েকবার পেছানোর পর 'শাহেনশাহ' মুক্তি পেল। আপনাদের প্রত্যাশা কেমন ছবিটি নিয়ে?মুক্তির তিন দিন হয়ে গেল। সব জায়গা থেকে ভালো খবর পাচ্ছি। এই ছবিতে আমার বিপরীতে প্রথম নায়িকা হয়েছেন নুসরাত ফারিয়া। দর্শকের একটা আগ্রহ আছে ছবিটি নিয়ে। তবে ছবিটি মুক্তির তারিখ যেহেতু কয়েকবার পিছিয়েছে, এবার যে মুক্তি পাবে অনেকেই সেটা বিশ্বাস করেনি হয়তো। মুক্তির পর প্রচার জরুরি। মুক্তির আগে থেকে আমার নিজের ফেসবুক পেজে প্রচার চালানো হচ্ছে। এখন প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান থেকে আরও জোরেশোরে প্রচার চালানো দরকার। ছবিটি আলোচনায় আসার সম্ভাবনা আছে। আপনার ছবি সাধারণত মুক্তি পায় উৎসবে। এবার পরপর দুটি ছবি অসময়ে মুক্তি পেল। কারণ কী?এটা প্রযোজকের ব্যাপার। তাঁরা কখন ছবি মুক্তি দেবেন, সেই সিদ্ধান্ত একান্তই তাঁদের। তবে আমি মনে করি উৎসবের বাইরে এভাবে ছবি মুক্তির ব্যাপারটি আগে থেকে করতে পারলে হলগুলো বাঁচানো যেত। আজ হল ধ্বংস হয়েছে, সাধারণ সময়ে বড় ছবি মুক্তি না দেওয়ার কারণে। সাধারণ সময়ে বড় ছবি মুক্তি না হতে হতে দর্শক ঘরে ঢুকে গেছে। ঈদের সময় হলেই সবাই বড় বড় ছবিগুলো মুক্তি দিতে চাই। এমন করলে সারা বছর হল বাঁচবে কীভাবে? হলিউড, বলিউডের সব বড় বাজেটের ছবি কি উৎসব ধরে মুক্তি দেওয়া হয়? না, অবশ্যই না। সুতরাং 'শাহেনশাহ' বা 'বীর'-এর মতো বড় ছবি মাসে একটা করে মুক্তি দিলে বর্তমানে যতগুলো প্রেক্ষাগৃহ আছে, সেগুলো বাঁচবে। প্রযোজক-পরিবেশক সমিতি, ফিল্ম ক্লাবের পিকনিকে গেলেন, শিল্পী সমিতির পিকনিকে গেলেন না কেন?এখন যে অবস্থা তৈরি হয়েছে, যে কোনো সমিতির পিকনিকে অংশ নেওয়া কঠিন হয়ে গেছে। গেলেও কোথাও বসে শান্তিতে কথা বলা যায় না। খাওয়া-দাওয়া করা যায় না। শত শত মোবাইল ফোন ও ক্যামেরা ঘিরে রাখে। এ সব বেশি ভাগই ইউটিউব পার্টি। প্রযোজক সমিতির পিকনিকে গিয়ে সেই অভিজ্ঞতা হয়েছে আমার। শিল্পীদের চেয়ে বহিরাগতই বেশি যায়। যার যার স্বার্থ থেকে বহিরাগতদের দাওয়াত করা হয়। শিল্পীদের এ ধরনের অনুষ্ঠানে বহিরাগতদের দাওয়াত করে এনে সমিতির কেউ কেউ স্বার্থ উদ্ধার করছেন। এমন হওয়া উচিত না।
শাকিব খান,ঢালিউড,শবনম বুবলী,আলাপন
শাকিব খান অভিনীত 'শাহেনশাহ' ছবিটি চলছে প্রেক্ষাগৃহে। ছবি: প্রথম আলো
entertainment
https://www.bd-pratidin.com/country/2021/01/04/604405
নোয়াখালীতে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, চেয়ারম্যানসহ আহত ৮
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌর শহরে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় চরএলাহী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাকসহ অন্তত আট জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় দ্রুত এক পক্ষের মামলায় পুলিশ আহত আবদুর রাজ্জাকসহ পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে। আহতরা হচ্ছেন, চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাক, তার পক্ষের হোরণ, রাসেল, মো. রাব্বি, কালাম ও ফয়সালসহ আট জন। চেয়ারম্যান রাজ্জাক চরএলাহী ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি। স্থানীয় সূত্র আরও জানায়, চরএলাহী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা শাহাব উদ্দিন ও গণির লোকজন লোহার রডসহ লাঠিসোঠা নিয়ে হামলা চালালে চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাক স্থানীয় একটি ক্লিনিকে প্রবেশ করে। এক পর্যায়ে হামলাকারীরা ওই ক্লিনিকের গ্লাস ভাংচুর করে সেখানে গিয়ে চেয়ারম্যান রাজ্জাকের মাথায় আঘাত করলে তার মাথা ফেটে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন তাকেসহ তার লোকজনকে উদ্ধার করে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা দেয়। চেয়ারম্যান রাজ্জাক অভিযোগ করে বলেন, কোনো প্রকার উসকানি ছাড়াই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সেক্রেটারির নেতেৃত্বে তাদের লোকজন তার মিছিলে হামলা চালায়। হামলাকারীরা তাকে হত্যা করার চেষ্টা করলে তিনি পালিয়ে একটি ক্লিনিকে গিয়েও বাঁচতে পারেনি। সেখানে গিয়ে তার মাথা ফাটিয়ে দেয়। এ ঘটনায় তার ৮-১০ জন লোক আহত হয়েছে। এর মধ্যে তিনিসহ তিনজনের মাথা ফেটে যায়। তিনি জানান, হাসপাতালে ব্যান্ডেজ শেষে তিনি থানায় গেলে পুলিশ তাকে থানায় বসিয়ে রাখে এবং পরে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি গণি দ্বারা প্রভাবিত হয়ে উল্টো তার বিরুদ্ধে মামলা গ্রহণ করে। এ বিষয়ে জানতে চরএলাহী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল গণির মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। পরে তার মুঠোফোনটি অন্য এক ব্যক্তি রিসিভ করে জানান, গণি থানায় রয়েছে। জানতে চাইলে কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহিদুল হক রনি বলেন, দুই পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। পরে আবদুল গণি চেয়ারম্যান রাজ্জাককে প্রধান আসামি করে থানায় মামলা করেছে। এ ঘটনায় এক পক্ষের মামলায় পুলিশ আহত আবদুর রাজ্জাকসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করে। এক প্রশ্নে তিনি বলেন, চেয়ারম্যানকে তারা গ্রেফতার করেনি। লোকজন চেয়ারম্যানকে আটক করে থানায় দিয়ে যায়। বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন
null
আহত চরএলাহী ইউনিয়ন পরিষদ আবদুর রাজ্জাক
national
https://www.ajkerpatrika.com/132648/%E0%A6%AA%E0%A7%83%E0%A6%A5%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A7%80%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%97%E0%A7%80%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%B6%E0%A7%87%E0%A6%B7-%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%A8
পৃথ্বীরাজের সংগীতে শেষ গান
তরুণ সম্ভাবনাময় ও মেধাবী সুরকার, সংগীত পরিচালক ও সংগীতশিল্পী ছিলেন পৃথ্বীরাজ। ২০১৯ সালে মাত্র ৩৪ বছর বয়সে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে চলে যান না-ফেরার দেশে। তাঁর সৃষ্টি অনেক গান আজও মানুষের মুখে মুখে। আজ মুক্তি পেতে যাচ্ছে পৃথ্বীরাজের সংগীতায়োজনের শেষ গান 'হৃদয়ের এ-কূল ও-কূল'। রবীন্দ্রসংগীতটি ব্যবহার করা হয়েছে অঞ্জন আইচ পরিচালিত 'আগামীকাল' সিনেমায়। গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন জানে ইশরাত। পরিচালক অঞ্জন আইচ এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। অঞ্জন আইচ বলেন, 'এটা ভাবতেই কেমন যেন লাগছে, পৃথ্বীরাজের করা গান প্রকাশিত হচ্ছে, অথচ তিনি নেই! এই ছবিতে একসঙ্গে আমাদের আরও একটি গান তৈরির কথা ছিল। কিন্তু তা আর হলো না।'অঞ্জন আইচ আরও বলেন, 'এই ছবির গান নিয়ে যখন কথা হচ্ছিল, তখন রবীন্দ্রসংগীতের প্রস্তাবটি দিয়েছিলেন পৃথ্বীরাজ। ডেমো তৈরির পর আমার খুব ভালো লাগে। যেদিন তিনি মারা যান, সেদিন স্টুডিওতে যাওয়ার কথা ছিল আমার। ফোন করেও তাঁকে পাইনি। পরদিন জানতে পারি, আমাদের ছেড়ে চিরদিনের মতো চলে গেছেন পৃথ্বীরাজ!'মাসুম মঞ্চ ইন্টারন্যাশনালের ব্যানারে নির্মিত, অঞ্জন আইচ রচিত ও পরিচালিত 'আগামীকাল' সিনেমায় এই গানের সঙ্গে অভিনয় করেছেন চিত্রনায়ক ইমন ও অভিনেত্রী সূচনা আজাদ। 'হৃদয়ের এ-কূল ও-কূল' গানটি প্রকাশ পাচ্ছে আজ সন্ধ্যা ৭টায় টুটুল চৌধুরী নামের ফেসবুক পেজে এবং টাইগার মিডিয়ার ইউটিউব চ্যানেল। আগামী ৪ মার্চ সারা দেশে মুক্তি পাবে 'আগামীকাল'।রিয়েলিটি শো ক্লোজআপ ওয়ান দিয়ে আলোচনায় আসা পৃথ্বীরাজের প্রথম অ্যালবাম 'ডট' প্রকাশিত হয় ২০১১ সালে। উচ্চাঙ্গসংগীতে দখলের জন্য সংগীতপ্রেমীদের প্রিয় হয়ে উঠেছিলেন দ্রুত।
বিনোদন,গান,সংগীতশিল্পী,ছাপা সংস্করণ,আজকের বিনোদন
পৃথ্বীরাজ।
national
https://www.bd-pratidin.com/probash-potro/2021/01/28/612803
কানাডায় বাংলাদেশি নিখোঁজ শিক্ষার্থীর মরদেহ নদী থেকে উদ্ধার
কানাডায় নদী থেকে বাংলাদেশি এক তরুণ শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। স্থানীয় সময় ২৭ জানুয়ারি ম্যানিটোবা প্রদেশের রাজধানী উইনিপেগের 'রেড রিভার' নামক নদী থেকে তার লাশ উদ্ধার করে উইনিপেগ সিটি পুলিশ। নিহত শিক্ষার্থীর নাম সামি উজ জামান (২৪)। তার বাবার নাম মোহাম্মদ আসাদুল ইসলাম। তার গ্রামের বাড়ি বাংলাদেশের ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলায়। দুই ভাইয়ের মধ্যে সামি ছোট। উইনিপেগ পুলিশ জানায়, গত ৯ জানুয়ারি থেকে নিখোঁজ ছিলেন সামি। তার বন্ধুরা বেশ কয়েক দিন খোঁজে তাকে পায়নি। পরে ২০ জানুয়ারি তারা পুলিশকে বিষয়টি জানান। এর সাত দিন পর রেড রিভার থেকে তার লাশ উদ্ধার করল পুলিশ। লাশটি পুলিশের হেফাজতে আছে। উইনিপেগ পুলিশ সামির মৃত্যুর কোনো কারণ এখনো উল্লেখ করেনি। তবে ধারণা করা হচ্ছে এটি একটি অপমৃত্যু। বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ
null
সামি উজ জামান।
life-health
https://www.bd-pratidin.com/international-news/2019/01/26/394973
প্রিয়াঙ্কা গান্ধী সম্পর্কে জানা-অজানা কিছু তথ্য
অবশেষে গান্ধী পরিবারের আরেক সদস্য ভারতের রাজনীতিতে সক্রিয় হলেন। তিনি রাজীব গান্ধীর কন্যা প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। সাধারণ মানুষ তার মধ্যে দাদি ইন্দিরা গান্ধীর ছায়া দেখতে পান। চলুন জেনে নিই তার জীবনের কিছু জানা-অজানা তথ্য। শৈশব শিক্ষা প্রিয়াঙ্কা দিল্লির বিখ্যাত স্কুল মর্ডান স্কুলে পড়ালেখা করেছেন। এরপর দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্ভুক্ত জিএসএস অ্যান্ড মেরি কলেজ থেকে মনোবিজ্ঞানে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। বাসায় পড়ালেখা ইন্দিরা গান্ধীকে হত্যার পর বেশ কিছুদিন প্রিয়াঙ্কা স্কুলে যাননি। তখন বাসায় থেকেই পড়ালেখা করেছেন। বড় ভাই রাহুলের চেয়ে দুই বছরের ছোট প্রিয়াঙ্কা। বৌদ্ধ ধর্ম খুব কম মানুষই জানেন যে, প্রিয়াঙ্কা বৌদ্ধ ধর্ম শিক্ষায় মাস্টার্স ডিগ্রি লাভ করেছেন। ২০১০ সালে তিনি এই ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি বৌদ্ধ ধর্মের প্রতি আকৃষ্ট। বিয়ে ১৯৯৭ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি প্রিয়াঙ্কা তার ছোটবেলার বন্ধু রবার্ট ভদ্রকে বিয়ে করেন। রবার্ট দিল্লির সুপরিচিত ব্যবসায়ী। তবে গত বেশ কয়েক বছর ধরে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠছে। সন্তান প্রিয়াঙ্কা-রবার্ট দম্পতির দুই সন্তান। ছেলে রোহান আর মেয়ে মিরায়া। সন্তানদের কাছে মা প্রিয়াঙ্কা ভীষণ কড়া শিক্ষকের মতো। দাদির ছায়া কেবল সাধারণ মানুষ নয়, প্রিয়াঙ্কা নিজেও মনে করেন, তিনি দেখতে ইন্দিরা গান্ধীর মতো। দাদির মতোই ছোট চুল, খাঁড়া নাক। তার কাছে দাদির কিছু শাড়িও রয়েছে। প্রথম ভাষণ প্রিয়াঙ্কাকে মাইক হাতে খুব কমই দেখা গেছে। তিনি স্বল্পভাষী, কিন্তু যখন কথা বলেন, তখন তা সাধারণ মানুষের হৃদয় স্পর্শ করে। মাত্র ১৬ বছর বয়সে তিনি প্রথম রাজনৈতিক বক্তব্য দেন। নির্বাচনি প্রচারণা আমেথি আর রায়বারেলিতে নির্বাচনি প্রচারের সময় প্রিয়াঙ্কা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন। শোনা যায়, ভাই রাহুল গান্ধীর রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। শখ প্রিয়াঙ্কা বই পড়তে, রান্না করতে এবং ছবি তুলতে ভালোবাসেন। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, তার শুদ্ধ হিন্দি উচ্চারণের পেছনে অমিতাভ বচ্চনের মা তেজী বচ্চনের কৃতিত্ব অনেক। বিডি প্রতিদিন/কালাম
null
প্রিয়াঙ্কা গান্ধী
international
https://www.dailynayadiganta.com/turkey/657038/যুদ্ধের-শঙ্কা-থেকে-তুর্কি-সমরাস্ত্র-কিনেছিল-ইউক্রেন
যুদ্ধের শঙ্কা থেকে তুর্কি সমরাস্ত্র কিনেছিল ইউক্রেন
রাশিয়ার সাথে যুদ্ধের শঙ্কা থেকে তুরস্ক থেকে বিপুল সমরাস্ত্র কিনে তা মজুদ করে রেখেছিল ইউক্রেন। মঙ্গলবার এমন সংবাদ প্রকাশ করেছে আল-জাজিরা। ২০২২ সালের প্রথম তিন মাসে তুরস্ক থেকে সমরাস্ত্র আমদানি বাড়িয়েছিল ইউক্রেন। রাশিয়া কর্তৃক ইউক্রেন আক্রমণের আগে বেশিরভাগ তুর্কি সমরাস্ত্র কেনা হয়। ৬ এপ্রিল তারিখে তুরস্কের পণ্য রফতানিকারকদের সংগঠন 'দ্যা টার্কিশ এক্সপোর্টার অ্যাসেম্বলি'-এর তথ্যানুসারে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। দ্যা টার্কিশ এক্সপোর্টার অ্যাসেম্বলির তথ্যানুসারে, ২০২২ সালের প্রথম তিন মাসে ইউক্রেনে ৫৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের সমরাস্ত্র রফতানি করেছে তুরস্ক। এটা ২০২১ সালের প্রথম তিন মাসের তুলনায় অনেক বেশি। কারণ, ২০২১ সালের প্রথম তিন মাসে ইউক্রেনে ১.৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের সমরাস্ত্র রফতানি করেছে তুরস্ক। তবে ২০২২ সালে তুরস্ক থেকে ইউক্রেন কোন ধরনের অস্ত্র আমদানি করেছে তা জানা যায়নি। এ বিষয়ে একজন নিরপেক্ষ প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ আরদা মেভলুতোগলু বলেন, ইউক্রেন এখন তুরস্কের প্রতিরক্ষা শিল্পের অন্যতম প্রধান অংশীদার। কারণ, তুরস্কের বায়রাকতার টিবি-২ সশস্ত্র ড্রোন ও মিলগেম শ্রেণীর কর্ভেট যুদ্ধজাহাজ ক্রয়ের অর্ডার দিয়েছে ইউক্রেন। ফেব্রুয়ারিতে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগানের ইউক্রেন সফরের সময় এসব তুর্কি সমরাস্ত্র ক্রয়ের বিষয়ে চুক্তি হয়। ওই সময় বায়রাকতার টিবি-২ ড্রোন উৎপাদনের জন্য একটি কারখানা নির্মাণের বিষয়ে সমঝোতা হয়।এছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে তুরস্ক থেকে প্রচুর সমরাস্ত্র কিনে তা মজুদ করে রেখেছিল ইউক্রেন। এখন রাশিয়ার আগ্রাসন প্রতিরোধে ইউক্রেনীয় সামরিক বাহিনীর অন্যতম ভরসার নাম হলো তুরস্কের এ বায়রাকতার টিবি-২ ড্রোন। কারণ, সাম্প্রতিক রুশ আক্রমণ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে এ তুর্কি ড্রোনগুলো। সূত্র : আল-জাজিরা
ইউক্রেন,তুরস্ক,রাশিয়া,ড্রোন
তুরস্কের বায়রাকতার টিবি
international
https://www.dailynayadiganta.com/middle-east/349501/ট্রাম্পকে-ইরাকের-হুঁশিয়ারি
ট্রাম্পকে ইরাকের হুঁশিয়ারি
ইরাকের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের অধিকার কাউকে দেওয়া হবে না। দেশি-বিদেশি সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে ইরাকের নিরাপত্তা বাহিনী। এসব কথা বলেছেন ইরাকের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইব্রাহিম আল জাফারি। তিনি কায়রোতে আরব লীগের বৈঠকের অবকাশে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। ইরাকে অবস্থিত মার্কিন কনস্যুলেটগুলোর নিরাপত্তা নিয়ে আমেরিকার কর্মকর্তাদের উদ্বেগের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উদ্দেশে ইব্রাহিম আল জাফারি বলেন, ইরাকেরনিজস্ব নিরাপত্তা বাহিনী রয়েছে এবং ইরাকি বাহিনী যেসব সাফল্য অর্জন করেছে তাতে তাদের দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার সুযোগ নেই। বিশ্বের অনেক দেশ যখন আইএস-কে মোকাবেলায় হিমশিম খাচ্ছিল তখন ইরাকি বাহিনী ওই সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে পরাজিত করতে সক্ষম হয়েছে। সম্প্রতি ইরাকের বসরায় যে সহিংসতা হয়েছে তাতে মার্কিন কনস্যুলেটের ভূমিকা ছিল বলে খবর ফাঁস হওয়ার পর ওয়াশিংটন এখন নিজের কূটনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছে। বসরায় সম্প্রতি ইরানের কনস্যুলেটসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ইরাকে এখন সরকার গঠনের প্রক্রিয়া চলছে। সেখানে যাতে একটি স্বাধীনচেতা সরকার গঠিত হতে না পারে সে লক্ষ্যে নানা ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে আমেরিকা। মার্কিন নিষেধাজ্ঞা মানবে না ইরাক১৪ আগস্ট ২০১৮ ইরাকের প্রধানমন্ত্রী হায়দার আল-এবাদি বলেছেন, ইরানের সাথে বাণিজ্যসহ দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার ক্ষেত্রে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা অনুসরণ করবে না তার দেশ। তবে ইরাক শুধুমাত্র বাণিজ্যিক লেনদেনে মার্কিন ডলার ব্যবহার থেকে বিরত থাকবে। তিনি সোমবার বাগদাদে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন বলে দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন জানিয়েছে। হায়দার আল-এবাদি বলেন, ইরান ইস্যুতে আমরা শুধুমাত্র লেনদেনে ডলার ব্যবহার থেকে বিরত থাকব। মার্কিন নিষেধাজ্ঞা মানব না। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত ৮ মে পাশ্চাত্যের সাথে ইরানের স্বাক্ষরিত পরমাণু সমঝোতা থেকে তার দেশকে বের করে নেন এবং পরবর্তী তিন থেকে ছয় মাসের মধ্যে তেহরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহালের ঘোষণা দেন। চলতি আগস্ট মাসের প্রথম সপ্তাহে প্রথম দফা নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করেছে ওয়াশিংটন। মার্কিন সরকার হুমকি দিয়েছে, ইরান বিরোধী নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘনকারী পক্ষ বা দেশগুলোকেও মার্কিন নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে হবে। ইরাকের প্রধানমন্ত্রী ইরান বিরোধী মার্কিন নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে গত সপ্তাহে বলেছিলেন, তার দেশ এ নিষেধাজ্ঞাকে অন্যায় ও কৌশলগত ভুল বলে মনে করে। এ ছাড়া, নিষেধাজ্ঞার ফলে একটি দেশের জনগণ কষ্ট পায় সরকারের কোনো ক্ষতি হয় না। হায়দার আল-এবাদি আরো বলেছিলেন, তিনি ইরান বিরোধী নিষেধাজ্ঞাকে অন্যায় মনে করা সত্ত্বেও ইরাকের জাতীয় স্বার্থে তা মেনে চলবেন। কিন্তু সোমবার কার্যত সে বক্তব্য থেকে সরে আসলেন প্রধানমন্ত্রী এবাদি।
null
ট্রাম্পকে ইরাকের হুঁশিয়ারি
international
https://samakal.com/bangladesh/article/1608230739/পরিচয়-মিলল-জঙ্গি-নেতা-মারজানের
পরিচয় মিলল ;জঙ্গি নেতা; মারজানের
রাজধানীর গুলশানের 'হলি আর্টিজান বেকারিতে' হামলায় সন্দেহভাজন 'জঙ্গি নেতা' মারজানের পরিচয় মিলেছে। পাবনা সদর উপজেলার হেমায়েতপুর ইউনিয়নের আফুরিয়া গ্রামের ছেলে মারজানের প্রকৃত নাম নুরুল ইসলাম। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের ছাত্র। মারজান মো. নাজিম উদ্দিন ও সালমা খাতুনের ১০ সন্তানের মধ্যে দ্বিতীয়। ওই দম্পতির পাঁচ ছেলে ও পাঁচ মেয়ে। তার বাবা-মা বলছে, প্রায় আট মাস ধরে পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন মারজান। পাবনার পুলিশ সুপার আলমগীর কবীর সমকালকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, সদর থানা পুলিশের একটি দল আফুরিয়া গ্রামে মারজানের বাড়িতে গিয়ে তার প্রকৃত পরিচয় নিশ্চিত হয়েছে। নুরুল ইসলাম ওরফে মারজান মো. নাজিম উদ্দিন ও সালমা খাতুনের ছেলে। সোমবার রাত পৌনে ৯টার দিকে আলমগীর কবীর সমকালকে বলেন, 'বিষয়টি তাদের এখতিয়ারের বাইরে থাকায় সাংবাদিকদের জানানো হয়নি। পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইন্টেলিজেন্স বিভাগ বিষয়টি তদারকি করায় বিষয়টি সম্পর্কে খুব বেশি জানতে পারিনি।' এদিকে, মারজানের জঙ্গি-সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি প্রকাশের পর তার বাবা-মা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন। এ ঘটনায় ওই এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। কান্নাজড়িত কণ্ঠে মারজানের বাবা মো. নাজিম উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, 'আমাদের ছেলে যদি এমন ঘৃণ্য কাজের সঙ্গে জড়িত থাকে তাহলে অবশ্যই তার শাস্তি হোক। যারা তাকে এ পথে নিয়ে গেছে তাদেরও শাস্তি চাই।' তিনি আরও বলেন, 'ছেলের এ ধরনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা জানতে পেরে তার মা অসুস্থ হয়ে পড়েছে। সোমবার রাতে তাকে পাবনা মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে।' মারজানের বাবা নাজিম আরও বলেন, 'সে আফুরিয়া পাটকিয়া বাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও উচ্চ বিদ্যালয় থেকে পাস করার পর পাবনা আলিয়া মাদ্রাসা থেকে আলিম পাস করে। এরপর সে দীর্ঘদিন পাবনার বাঁশবাজার মসজিদে মক্তব বিভাগে ছাত্রছাত্রী পড়াত। মারজান নিজেও অত্যন্ত মেধাবী ও বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় সে কয়েকবার প্রথম হয়েছে। বছর খানেক আগে ঈশ্বরদী উপজেলার কালিকাপুরের বাসিন্দা তার খালাত বোনকে বিয়ে করে মারজান।' তবে গত ৮ মাস ধরে মারজান স্ত্রীসহ কোথায় রয়েছে তা জানেন না বলেও জানান নাজিম উদ্দিন। মারজানের বিষয়ে তথ্য চেয়ে গত শুক্রবার পুলিশের তথ্য পাওয়ার বিশেষ অ্যাপ 'হ্যালো সিটিতে' ছবি প্রকাশ করা হয়। সেখানে তাকে গুলশান হামলার 'অপারেশন কমান্ডার' হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। তার বয়স ২২ বা ২৩ বছর বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার সকালে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার ও কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, গুলশানের 'হলি আর্টিজান বেকারিতে' হামলার 'মূল দায়িত্বে' থাকা আরেক ব্যক্তিকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তার সাংগঠনিক নাম মারজান; তার ছবিও পাওয়া গেছে। নিজের ফেসবুকে মারজান গুলশান হামলার ছবি আপলোড করেছিল। মনিরুল ইসলাম জানান, গোপন টেক্সট বা অ্যাপসের মাধ্যমে গুলশান হামলার ছবি মারজানের কাছে পাঠানো হয়েছিল। তিনি তা ওপেন করেছিলেন। পুলিশ এক জঙ্গির মোবাইল থেকে তা উদ্ধার করেছে। গোয়েন্দাদের অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে, মারজান ভারি অস্ত্র চালাতে পারদর্শী। তিনি নিজেও হাই-প্রোফাইল একজন জঙ্গি। আটক জঙ্গি জাহাঙ্গীর ওরফে রাজীব ওরফে সুভাস গান্ধী জিজ্ঞাসাবাদে মারজান সম্পর্কে তাদের বিভিন্ন তথ্য দিয়েছে।
মারজান,গুলশান
নুরুল ইসলাম মারজান-
national
https://www.ajkerpatrika.com/170524/%E2%80%98%E0%A6%AE%E0%A7%8C%E0%A6%B2%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%80-%E0%A6%93-%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A7%9F%E0%A6%BF%E0%A6%95-%E0%A6%B6%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B0-%E0%A6%B7%E0%A7%9C%E0%A6%AF%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0
'মৌলবাদী ও সাম্প্রদায়িক শক্তির ষড়যন্ত্রের শিকার শিক্ষক হৃদয়'
ধর্ম অবমাননার অভিযোগে কারাগারে যাওয়া মুন্সীগঞ্জের বিনোদপুর রামকুমার উচ্চ বিদ্যালয়ের গণিত ও বিজ্ঞান শিক্ষক হৃদয় চন্দ্র মণ্ডল মৌলবাদী ও সাম্প্রদায়িক শক্তির ষড়যন্ত্রের শিকার। হৃদয় চন্দ্র মণ্ডলকে 'ধর্ম অবমাননার' অভিযোগ এনে কারাগারে নেওয়ার প্রতিবাদে শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী আয়োজিত সাংস্কৃতিক সমাবেশে এ মন্তব্য করেন বক্তারা। একই সঙ্গে হৃদয় মণ্ডলের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানিয়েছে বক্তারা।উদীচী শিল্পী গোষ্ঠীর সহসভাপতি এ এন রাশেদার সভাপতিত্বে ও সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক জামশেদ আনোয়ার তপনের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক বদিউর রহমান, নাট্যকার অধ্যাপক ড. রতন সিদ্দিকী, সমাজ অনুশীলন কেন্দ্রের সংগঠক অভিজিত রায়, সাংস্কৃতিককর্মী সঙ্গীতা ইমাম, অমিত রঞ্জন দে, উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী ঢাকা মহানগর সংসদের সাধারণ সম্পাদক আরিফ নূর, প্রগতি লেখক সংঘের সংগঠক গোলাম কিবরিয়া, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সহ-সভাপতি অনিক রায় প্রমুখ।সভাপতির বক্তব্যে এ এন রাশেদা বলেন, হৃদয় মন্ডল তার ক্লাসে সত্য সুন্দরের কথা বলেছেন। কিন্তু তাঁকে সাম্প্রদায়িক চক্রান্তে জেলে পাঠানো হয়েছে। এই চক্রান্তের বিরুদ্ধে জাগরণ চাই, বিবেকের জাগরণ চাই। বিজ্ঞান শিক্ষাকে জনপ্রিয় করার মাধ্যমে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। একই সাথে মৌলবাদী শক্তির প্রতিরোধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান প্রবীণ এ সাংস্কৃতিক কর্মী।'মানব না এই বন্ধনে, মানব না এই শৃঙ্খলে/মুক্ত মানুষের স্বাধীনতা অধিকার খর্ব করে যারা ঘৃণ্য কৌশলে' ও 'অধিকার কেড়ে নিতে হয়/অধিকার লড়ে নিতে হয়' গণসংগীতের মাধ্যমে শুরু হয় এই প্রতিবাদী আয়োজন। আবৃত্তি করেন শিখা সেন গুপ্ত।অধ্যাপক বদিউর রহমান বলেন, যে দেশ উদ্ভট উটের পিঠে চলছে সে দেশ আমরা চাই না। এদেশ সাম্প্রদায়িকতার কবল থেকে মুক্ত হয়ে অসাম্প্রদায়িক চেতনা নিয়ে জন্ম হয়েছে। যারা এ দেশকে সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র বানাতে চায় তাঁদের মোকাবিলা করার জন্য ঐক্যবদ্ধ সংগ্রামের বিকল্প নেই।সঙ্গীতা ইমাম বলেন, আমাদের সোনার বাংলা আর নেই। এদেশকে আবার পাকিস্তান বানাতে মরিয়া একদল জনগোষ্ঠী। তাঁদের রুখে দিতে হবে। এদেশে যারা যুদ্ধপরাধীদের রাজনীতি করার সুযোগ দিয়েছে তাঁরাই মূলত সাম্প্রদায়িকতাকে প্রশ্রয় দিয়েছ। যারা মৌলবাদের কথা বলে তারা জেলে যায় না। কিন্তু যারা মৌলবাদের বিরুদ্ধে মুক্তচিন্তার কথা বলে তাঁরা কেন জেলে যাবে? প্রশ্ন তুলেন সঙ্গীতা ইমাম।
রাজধানী,ঢাকা বিভাগ,কারাগার,মুন্সীগঞ্জ,অভিযোগ
উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী আয়োজিত সাংস্কৃতিক সমাবেশ।
national
https://www.bhorerkagoj.com/2021/07/06/%e0%a6%b0%e0%a6%aa%e0%a7%8d%e0%a6%a4%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a6%bf-%e0%a6%86%e0%a7%9f%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%a8%e0%a6%a4%e0%a7%81%e0%a6%a8-%e0%a6%b2%e0%a6%95%e0%a7%8d%e0%a6%b7%e0%a7%8d%e0%a6%af/
রপ্তানি আয়ের নতুন লক্ষ্যমাত্রা ৫১ বিলিয়ন ডলার
চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার। চলতি অর্থবছরে পণ্য ও সেবা রপ্তানি থেকে ৫১ বিলিয়ন (৫ হাজার ১০০ কোটি) ডলার আয়ের লক্ষ্য ঠিক করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার (৬ জুলাই) এক সংবাদ সম্মেলনে এ লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণা করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। এসময় লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে উদ্যোক্তাদের সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়া হবে বলে জানান মন্ত্রী। সচিবালয় থেকে অনলাইনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান এএইচএম আহসান, বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সাবেক সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান, বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) প্রথম সহ-সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য পণ্য ও সেবা রপ্তানি থেকে ৫১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের নতুন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ১২ দশমিক ২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ধরে পণ্য রপ্তানি খাতে নতুন আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে ৪৩ দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলার। সেবা খাতে ১৩ দশমিক ১৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ধরে ৭ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারের নতুন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ঘোষিত লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে তৈরি পোশাক রপ্তানি থেকে আসার কথা তিন হাজার ৫১৪ কোটি ডলার। চামড়া ও চামড়াখাতে ১০ বিলিয়ন ডলার, হিমায়িত ও জীবন্ত মাছ রপ্তানিতে ৫০ কোটি ডলার। এভাবে বিভিন্ন হারে অন্যান্য খাতের লক্ষ্যমাত্রাও নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।
null
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। ।
economy
https://www.bhorerkagoj.com/2021/03/21/%e0%a6%b8%e0%a6%be%e0%a6%ac%e0%a7%87%e0%a6%95-%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%ae%e0%a7%80%e0%a6%b0-%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%b0%e0%a7%81%e0%a6%a6%e0%a7%8d%e0%a6%a7%e0%a7%87-%e0%a6%a8/
সাবেক স্বামীর বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ জোলির
নিরবতা ভেঙে এবার সত্য ঘটনা প্রকাশ্যে আনলেন হলিউড তারকা অ্যাঞ্জেলিনা জোলি। আদালতে অভিযোগ করে এই অভিনেত্রী জানান, সাবেক স্বামী ও হলিউড তারকা ব্র্যাড পিট বাড়ি ফিরেই তাকে পেটাতেন। আর এসব ঘটনা ঘটত সন্তানদের সামনেই। আদালতে জোলি অভিযোগ জানানোর পর দিনই তার বড় ছেলে ম্যাডক্স বাবা পিটের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছে। এদিকে এসব অভিযোগের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি অভিনেতা ব্র্যাড পিট। সন্তানদের না দেখতে পেয়ে তিনি নাকি খুবই মনঃকষ্টে আছেন। ২০০৬ সালে প্রথমবারের মতো পিট-জোলি নিজেদের সম্পর্কের কথা স্বীকার করেছিলেন। ২০১৪ সালের ২৩ আগস্ট ব্র্যাড ও অ্যাঞ্জেলিনা হয়েছিল 'ব্র্যাঞ্জেলিনা'। দুই বছরের মাথায় ভেঙে যায় তাঁদের দাম্পত্যজীবন। ২০১৯ সালের ১২ এপ্রিল কাগজে-কলমে তাঁদের বিচ্ছেদ হয়। অ্যাঞ্জেলিনা ও পিটের তিন সন্তান। শিলোহ এবং যমজ ভিভিয়েন ও নক্স। জোলির দত্তক নেওয়া আরও তিন সন্তান ম্যাডক্স, প্যাক্স ও জাহারা।
null
অ্যাঞ্জেলিনা জোলি ও সাবেক স্বামী ব্র্যাড পিট।
entertainment
https://www.bhorerkagoj.com/2020/08/23/%e0%a6%ae%e0%a7%8b%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%a4%e0%a6%be%e0%a6%ab%e0%a6%be-%e0%a6%9c%e0%a6%ac%e0%a7%8d%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%8f%e0%a6%b2%e0%a6%be%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a7%9f/
মোস্তাফা জব্বারের এলাকায় বন্যার্তদের ত্রাণ দিল হুয়াওয়ে
নেত্রকোনার খালিয়াজুরী এলাকার বন্যা দুর্গতদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করেছে প্রযুক্তি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেড। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার রবিবার (২৩ আগস্ট) অনলাইনে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। এ সময় ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, হাওর অঞ্চলের মানুষ বন্যাসহ নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগের সঙ্গে প্রতিনিয়ত লড়াই করে বসবাস করে আসছে। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে তাদের জীবন যাত্রা খুবই কষ্টকর হয়ে পড়ে। তারা বছরে একটি ফসলের ওপর নির্ভরশীল। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এসব মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য হুয়াওয়েকে ধন্যবাদ জানান তিনি। মোস্তাফা জব্বার বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিপন্ন মানুষদের জীবনমান উন্নয়ন নিশ্চিত করতে বিশেষ করে তাদের শিক্ষা, যোগাযোগ ব্যবস্থা, ফসল রক্ষায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণ ও মেরামতে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে সরকার। হাওরবাসীর দোরগোড়ায় ডিজিটাল সুবিধা পৌঁছে দেয়ায় শিক্ষার্থীরা ঘরে বসে অনলাইন পদ্ধতিতে পড়াশোনা করতে পারছে। ঘরে বসে আউট সোর্সিংয়ে কাজ করে বৈদেশিক মূদ্রা আয় করতে পারছে মানুষ। হাওরের মানুষের কাছে এটি অকল্পনীয় ছিল বলে মন্তব্য করেন তিনি। অনুষ্ঠানে হুয়াওয়ে বাংলাদেশের সিইও ঝেং ঝেংজান ও খালিয়াজুরী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ এইচ এম আরিফ ইসলাম বক্তৃতা করেন।
null
মোস্তাফা জব্বার। ।
national
https://www.prothomalo.com/politics/নাটক-করতেই-বিএনপি-দুদকে-তথ্যমন্ত্রী
নাটক করতেই বিএনপি দুদকে: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, দুর্নীতিতে বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা যখন দুর্নীতি নিয়ে কথা বলে, তখন মানুষের মধ্যে হাস্যরসের সৃষ্টি হয়। সত্যিকার অর্থে বিএনপি নাটক করতেই দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) গেছে। পিআইবি-সোহেল সামাদ সাংবাদিকতা পুরস্কার ২০২০ প্রদান অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী। আজ সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। তথ্য মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ক্ষমতাসীন দল এবং সরকারের দুর্নীতির তদন্তের দাবি জানিয়ে দুদকে বিএনপির অভিযোগ দাখিল করা নিয়ে কথা বলেন হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, 'আমি টেলিভিশনে দেখলাম, দুর্নীতিতে যারা বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল, তাদের পক্ষ থেকে আলাল এবং দুলাল দুদকে গেছেন। আমি মনে করি, দুদক তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে হাওয়া ভবনের মাধ্যমে যে লুটপাট হয়েছে এবং তাদের কারণে কীভাবে দেশ দুর্নীতিতে পরপর পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে, সে তথ্যটা পাবে।' মুন্সিগঞ্জের বিজ্ঞান শিক্ষক হৃদয় মণ্ডলের জামিন হওয়ায় এ সময় সন্তোষ প্রকাশ করেন তথ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, 'হৃদয় মণ্ডলের পুরো ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক, অনভিপ্রেত। তিনি জামিনে মুক্তির পরও বলেছেন তাঁর বিরুদ্ধে সেখানকার শিক্ষকদের একটি অভ্যন্তরীণ ষড়যন্ত্র হয়েছে। আমি মনে করি, এর পেছনে অন্য কারও হাত থাকতে পারে।' পাকিস্তানের নির্বাচন পদ্ধতিকে গণতন্ত্রের জন্য আদর্শ-বিএনপির মহাসচিবের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করেন হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, 'আমরা এত দিন ধরে বলে আসছিলাম বিএনপি ও তার মিত্রদের কাছে পাকিস্তানই আদর্শ। তাদের দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান চেয়েছিলেন দেশটাকে পাকিস্তানের সঙ্গে কনফেডারেশন করতে, কিন্তু পারেননি। তারা যে এখনো পাকিস্তানকে অনুসরণ করেন, দেশটাকে পাকিস্তানি ভাবাদর্শে নিয়ে যেতে চান, সেটি মির্জা ফখরুল গতকাল খোলাসা করেছেন।' এর আগে সৈয়দ বদরুল আহসানের হাতে পিআইবি-সোহেল সামাদ পুরস্কার ২০২০-এর সম্মাননা স্মারক, অভিজ্ঞানপত্র ও চেক তুলে দেন তথ্যমন্ত্রী। এ সময় তথ্য ও সম্প্রচারসচিব মো. মকবুল হোসেন, বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউট-পিআইবির মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ, পিআইবি-সোহেল সামাদ পুরস্কারপ্রাপ্ত সাংবাদিক সৈয়দ বদরুল আহসান অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন। ১৯৫৪ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণকারী সৈয়দ বদরুল আহসান চার দশকের সাংবাদিকতায় এশিয়ান এজ, নিউ নেশন, মর্নিং সান, বাংলাদেশ অবজারভার, ইনডিপেনডেন্ট, নিউজ টুডে এবং ডেইলি স্টার পত্রিকায় কাজ করেছেন। পাশাপাশি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, সাউথ এশিয়া মনিটরসহ বিভিন্ন দেশের সংবাদপত্রে নিয়মিত কলাম লিখেছেন। ১৯৯৭ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশনে প্রেস মিনিস্টারের দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। 'ফ্রম রিবেল টু ফাউন্ডিং ফাদার: শেখ মুজিবুর রহমান', 'গ্লোরি অ্যান্ড ডিসপেয়ার: দ্য পলিটিকস অব তাজউদ্দীন আহমেদ', 'দ্য হিস্ট্রি মেকারস ইন আওয়ার টাইমস' তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ।
দুদক,তথ্যমন্ত্রী,বিএনপি,সরকার,আওয়ামী লীগ
সৈয়দ বদরুল আহসানের হাতে পিআইবি-সোহেল সামাদ সাংবাদিকতা পুরস্কার ২০২০ তুলে দেন তথ্যমন্ত্রী
politics
https://www.bhorerkagoj.com/2019/07/23/%e0%a6%ab%e0%a6%bf%e0%a6%b2%e0%a6%bf%e0%a6%aa%e0%a6%be%e0%a6%87%e0%a6%a8%e0%a7%87-%e0%a6%ae%e0%a6%b9%e0%a6%be%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a6%bf-%e0%a6%86%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a7%87/
ফিলিপাইনে মহামারি আকারে ডেঙ্গু, ৪৫৬ জনের মৃত্যু
মহামারি ডেঙ্গুর কবলে পড়েছে ফিলিপাইন। চলতি বছরে দেশটিতে ১ লাখ ৬ হাজার ৬৩০ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে। ফিলিপাইন ইন্টিগ্রেটেডে ডিজিস সার্ভেইলেন্স অ্যান্ড রেসপন্স (পিআইডিএসআর) জানিয়েছে, এ বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৪৫৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। পিআইডিএসআর বলছে, গত বছরের চেয়ে এবার গোটা ফিলিপাইনে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে ৫৭ হাজার ৫৬৪ জন। ২০১৮ সালের তুলনায় যা ৮৫ শতাংশ বেশি। শিশু ও কিশোররা সবচেয়ে বেশি প্রাণঘাতী এ রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। মোট ডেঙ্গু রোগীর ৩৯ শতাংশের বয়স পাঁচ থেকে নয় বছরের মধ্যে। মশাবাহিত রোগের পরিমাণ দ্রুত বাড়তে থাকার প্রেক্ষিতে গত ১৫ জুলাই দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় গোটা দেশে জাতীয় ডেঙ্গু সতর্কতা জারি করে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় তাদের আঞ্চলিক কার্যালয়গুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে, তারা যেন মহামারি ডেঙ্গুর বিষয়টি সার্বক্ষণিক নজরদারিতে রাখে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জারি করা ওই সতর্কবার্তায় ডেঙ্গু আক্রান্তদের প্রয়োজনীয় প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা দিতে সার্বক্ষণিক কাজ করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে আঞ্চলিক কার্যালয়গুলোকে। ওষুধ সরবরাহ, হাসপাতাল সুবিধা, স্থানীয় কমিউনিটিকে সচেতন, স্কুলভিত্তিক স্বাস্থ্যশিক্ষা প্রচারণাসহ সকল ধরনের লজিস্টিক সাপোর্ট বৃদ্ধি করতে বলেছে মন্ত্রণালয়। দেশটির ওয়েস্টার্ন ভিসায়াস অঞ্চলের মানুষ সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে। এখন পর্যন্ত ওই অঞ্চলে ১৩ হাজার ১৬৪টি ডেঙ্গ আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা গেছে। এরপর দেশটির কালাবারজোনে ১১ হাজার ৪৭৪, সেন্ট্রাল ভিসায়াসে ৯ হাজার ১৯৯, সক্কাস্কসারেজনে ৯ হাজার ৯ হাজার ১০৭ জন এবং নর্দার্ন মিনাদানোতে ৮ হাজার ৭৩৮ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে। ওয়েস্টার্ন ভিসায়াসের ইলোইলো, আকলান, অ্যান্টিক এবং গুইমারাস প্রদেশে ডেঙ্গুকে মহামারি হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। ইলোইলো প্রাদেশিক সরকার জানিয়েছে, তাদের ১২টি হাসপাতালে প্রতিদিন ৬১৫ জন করে ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হচ্ছেন। গত পাঁচ জুলাই প্রাদেশিক সরকার সেখানে ডেঙ্গুকে মহামারি অভিহিত করে বিশেষ সতর্কতা জারি করে।
null
মশা
international
https://www.ajkerpatrika.com/202515/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A7%80%E0%A6%95-%E0%A6%A4%E0%A7%88%E0%A6%B0%E0%A6%BF-%E0%A6%A8%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%A8-%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%9C%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%AF
প্রতীক তৈরি নতুন গানের জন্য
বাবা খালিদ হাসান মিলু দেশের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ছিলেন বলেই প্রতীকের গানে মিলুর ছোঁয়া খুঁজতেন শ্রোতারা। সেটা কাটিয়ে উঠতে দিনের পর দিন নিজেকে প্রমাণ করতে হয়েছে প্রতীককে। এরই মধ্যে বেশ কিছু জনপ্রিয় গান উপহার দিয়েছেন তিনি। সেই ধারাবাহিকতায় গত মাসে তাঁর কণ্ঠে প্রকাশিত হলো নতুন মৌলিক গান 'প্রতারণা'। ফয়সাল রাব্বিকিনের লেখা গানটির সুর-সংগীত করেছেন রেজওয়ান শেখ। মিউজিক ভিডিও নির্মাণ করেছেন সৌমিত্র ঘোষ ইমন। গানটি বেশ সাড়া ফেলেছে।প্রতীক এখন তৈরি নতুন গানের জন্য। আগামী শুক্র ও রোববার আরও দুটি নতুন মৌলিক গানে কণ্ঠ দেবেন তিনি। একটি গান গাইবেন আরটিভির জন্য, অন্য গানটি রঙ্গন মিউজিকের জন্য, লিখেছেন জামাল হোসেন। এরপরেই ছুটবেন ঢাকার বাইরে বেশ কিছু স্টেজ শোতে অংশনিতে।প্রতীক বলেন, 'গানের জন্যই দিনরাত ছুটে বেড়াই। গান নিয়ে অনেক স্বপ্ন আমার। জানি, একদিন থেমে যেতে হবে। থেমে যাওয়ার আগে ভালো কিছু গান শ্রোতাকে দিয়ে যেতে চাই।'এর আগে নওমির সঙ্গে গাওয়া প্রতীকের 'এই যে বিয়াইন সাব ভাব নিয়েন না' গানটি আড়াই কোটিরও বেশি ভিউয়ার্স উপভোগ করেছেন। গানটি লিখেছেন প্রতীক ও প্রীতম, সুর করেছেন প্রীতম হাসান। এ ছাড়া প্রতীক-প্রীতমের গাওয়া 'গার্লফ্রেন্ডের বিয়ে' গানটিও দুই কোটির বেশি দর্শক উপভোগ করেছেন। এটি লিখেছেন লুৎফর হাসান, সুর ও সংগীত পরিচালনা করেছেন প্রীতম। অনুরূপ আইচের লেখা, জুয়েল মোর্শেদের সুর-সংগীতে প্রতীকের গাওয়া 'ব্রাজিল নাকি আর্জেন্টিনা' গানটিও ৭৩ লাখ ভিউয়ার্স উপভোগ করেছেন।
বিনোদন,গান,আজকের বিনোদন
প্রতীক হাসান। আলিফ রিফাত
national
https://www.bhorerkagoj.com/2021/02/01/%e0%a6%ae%e0%a6%bf%e0%a7%9f%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%aa%e0%a6%b0%e0%a6%bf%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%a5%e0%a6%bf%e0%a6%a4%e0%a6%bf-%e0%a6%aa%e0%a6%b0%e0%a7%8d/
মিয়ানমারের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে বাংলাদেশ
মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) নেত্রী অং সান সু চি এবং দেশটির রাষ্ট্রপতি উইন মিন্টকে আটকের দেশটিতে এক বছরের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। এ ঘটনায় সার্বিক বাংলাদেশ পর্যবেক্ষণ করছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকালে গণমাধ্যমকে তিনি এসব কথা জানান। এছাড়া প্রেস নোটের মাধ্যমে পরবর্তীতে প্রতিক্রিয়া জানানো হবে বলেও তিনি জানিয়েছেন। এদিকে অং সান সু চি ও রাষ্ট্রপতি সেনাবাহিনীর হাতে আটকের ফলে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে বাংলাদেশে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। কার্যত সেনাবাহিনীর হাতে ক্ষমতা চলে যাওয়া ও দেশটিতে এক বছরের জরুরি অবস্থা জারির ফলে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে এ উদ্বেগ। নতুন পার্লামেন্টের প্রথম অধিবেশন বসার কথা ছিল আজ। এর আগেই লিগ ফর ডেমোক্রেসির প্রধান এবং মিয়ানমারে বেসামরিক প্রশাসনের মূলনেত্রী হিসেবে পরিচিত অং সান সু চি এবং প্রেসিডেন্ট ইউ উইন মিন্টসহ দলটির শীর্ষ নেতাদের আটক করে সেনাবাহিনী।
null
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন ।
national
https://www.bd-pratidin.com/sports/2022/04/11/759080
যে ইতিহাসের সাক্ষী হয়েছে বাংলাদেশ, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম করোনা-বদলি!
অভিষেক সব ক্রিকেটারের কাছেই মহা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সব ক্রিকেটারই এই দিনটার জন্য মুখিয়ে থাকে। সাদা পোশাকের অভিষেকের জন্য হয়তো সাউথ আফ্রিকান ক্রিকেটার খায়া জন্ডোও তেমন মুখিয়ে ছিলেন। তবে সেই আরাধ্য অভিষেকটা এভাবে হবে, জন্ডো তেমনটা ভেবেছিলেন কী? সেই সাথে জন্ডোর অভিষেক আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও একটা ঐতিহাসিক ঘটনা হয়ে থাকলো, প্রথম করোনা-বদলি হিসেবে খেলতে নামলেন তিনি আরগ্লেনটন স্টুরম্যান । যদিও ৫৯ মিনিটের মধ্যে অলআউট হওয়া বাংলাদেশ জন্ডোর এমন অভিষেকের এলাহি কাণ্ডকে মাটি চাপা দিয়েছে। না হয় জন্ডোরাই হতেন আজকের ক্রিকেট বিশ্বের টক অব দ্য টাউন। কারণ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম করোনা-বদলির ইতিহাস যে এটাই। বিডি প্রতিদিন/নাজমুল
করোনা বদলি,খায়া জন্ডো, বাংলাদেশ-সাউথ আফ্রিকা, টেস্ট
জন্ডোর অভিষেক, করোনা বদলি
sports
https://www.ajkerpatrika.com/73261/%E2%80%98%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A7%9C-%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%87-%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%AA-%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%A8-%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E2%80%99
মাথার ব্যান্ডেজে লেখা 'হাড় নেই, চাপ দেবেন না'
পুরো মাথায় সাদা ব্যান্ডেজ মোড়ানো। এক পাশে গোলাকার দাগ টানা হয়েছে, সেখানে লেখা 'হাড় নেই, চাপ দেবেন না'। মাথায় যাতে কেউ স্পর্শ না করে, তাই যথারীতি আঁকা হয়েছে বিপদ চিহ্নও। এই শিক্ষার্থী চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের ৬২তম ব্যাচের ছাত্র মো. মাহাদি আকিব। তিনি চমেকের আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে আছেন। তাঁর মাথার খুলি থেঁতলে গেছে। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়েছে।গতকাল শনিবার সকাল ৯টায় চমেকের মেইন গেটের অদূরে পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সামনে অতর্কিত হামলা করে ছাত্রলীগের একটি পক্ষ। তাঁকে কীভাবে মারা হয়েছে তার বর্ণনা দিলেন চমেকের শেষ বর্ষের ছাত্র ও ছাত্রলীগের নেতা মো. ইমন সিকদার। তিনি বলেন, গতকাল সকাল ৯টায় সিনিয়ররা তখন চমেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. সাহেনা আক্তারের সঙ্গে কথা বলছিলেন। নিচে ছিলেন মাহাদি আকিবসহ জুনিয়ররা। হঠাৎ ধাওয়া দিয়ে চমেকের মেইন গেটের বাইরে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁদের। পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সামনে মাহাদি আকিবকে পেয়ে ঘিরে ধরেন প্রতিপক্ষরা। গলায় রিকশার চেইন দিয়ে বাধা হয়। কাচের বোতল দিয়ে মাথায় আঘাত করা হয়। রামদা দিয়ে কোপানো হয় মাথায়। পরে হকিস্টিক দিয়ে মাথা থেঁতলে দেওয়া হয়েছে। এ সময় তাঁকে উদ্ধার করে চমেকে নিয়ে যাওয়া হয়। এ বিষয়ে চমেকের অধ্যাপক ও ক্লিনিক্যাল নিউরো সার্জন এবং নিউরো সার্জারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান এস এম নোমান খালেদ চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, মাহাদি আকিবকে যখন আমরা পাই, তখন তাঁর মাথা থেঁতলানো ছিল। হাড় ভেঙে গেছে। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়েছে। ব্রেইন ডেমেজও হয়েছে। এই অবস্থায় অপারেশন করে মাথার কিছু অংশ তাঁর শরীরের মধ্যে সংরক্ষণ করে রাখি।'বিভাগীয় প্রধান আরও বলেন, আমরা সফল অপারেশন করেছি। আমি আশাবাদী, মাহাদি আকিব ভালো হয়ে যাবেন।'উল্লেখ্য, মাহাদি আকিব নটর ডেম কলেজ থেকে পাস করে চমেকে চান্স পান। গত শুক্রবার রাত ১২টায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। পরে গতকাল চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের ওই দিন সন্ধ্যার মধ্যে হল ছাড়ার নির্দেশ দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। গঠন করা হয় পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি।
শিক্ষা,সংঘর্ষ,চবি,চট্টগ্রাম 
লাইফ সাপোর্টে আছেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী মাহাদি আকিব।
national
https://www.ajkerpatrika.com/137201/%E0%A7%AC-%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%96-%E0%A6%AE%E0%A6%A3-%E0%A6%97%E0%A7%8B%E0%A6%B2%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A6%BE-%E0%A6%86%E0%A6%B9%E0%A6%B0%E0%A6%A3%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B2%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%AF
৬ লাখ মণ গোলপাতা আহরণের লক্ষ্য
সুন্দরবনের পশ্চিম বিভাগের খুলনা ও বুড়িগোয়ালিনী রেঞ্জে ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে চলতি মৌসুমের গোলপাতা আহরণ। এর আগে গত ২৯ জানুয়ারি পূর্ব বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জে এ মৌসুম শুরু হয়। অন্যান্য বছর ডিসেম্বর মাসে গোলপাতা আহরণের অনুমতি দেওয়া হলেও এবার কিছুটা দেরিতে সুন্দরবন থেকে গোলপাতা সংগ্রহের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এ বছর সুন্দরবনের পূর্ব বিভাগের একটি রেঞ্জ ও পশ্চিম বিভাগের দুটি রেঞ্জের আওতাধীন বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রায় ছয় লাখ মণ গোলপাতা আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ২৯ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া এ গোলপাতা আহরণ চলবে আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত। এ মৌসুমে পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের চাঁদপাই কূপ থেকে প্রায় ৯০ হাজার মণ ও শ্যালা কূপ থেকে ১ লাখ ২২ হাজার ৫০০ মণ গোলপাতা সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জে এবার গোলপাতা আহরণের অনুমতি দেওয়া হয়নি। আর সুন্দরবনের পশ্চিম বিভাগের খুলনা কূপ থেকে ২ লাখ ৫৯ হাজার ৯৬০ মণ ও বুড়িগোয়ালিনী রেঞ্জ থেকে প্রায় ১ লাখ ২৫ হাজার ৯৬০ মণ গোলপাতা সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।বন বিভাগ আরও জানায়, প্রতি গোলপাতা আহরণ মৌসুমে এ অঞ্চলের প্রায় দুই হাজার বাওয়ালি গোলপাতা আহরণ, পরিবহন ও বিক্রির কাজে যুক্ত।মোংলার চাঁদপাই গ্রামের বাওয়ালি আব্দুল্লাহ, সোনাইলতলা গ্রামের ময়েন উদ্দিন ও রামপালের পেড়িখালী গ্রামের সিরাজ বলেন, তাঁদের নৌকা তৈরি ও মেরামতের কাজ সপ্তাহখানেক আগেই শেষ হয়েছে। বন বিভাগ অনুমতিপত্র (পাস) দেওয়া শুরু করেছে। তাঁরা দু-এক দিনের মধ্যেই গোলপাতা সংগ্রহে সুন্দরবনে ঢুকবেন। সুন্দরবনে ৩ / ৪ বছর ধরে দস্যু আতঙ্ক নেই। তারপরও বন বিভাগ ও কোস্টগার্ডের নিয়মিত নজরদারির আহ্বান জানান তাঁরা।পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) বেলায়েত হোসেন বলেন, গোলপাতা মৌসুমে বাওয়ালিরা যাতে কোনো বনজ সম্পদ ধ্বংস না করতে পারেন সে বিষয়ে তাঁদের বিশেষ টহল ও নজরদারি থাকবে। বনে দস্যু আতঙ্ক নেই। তারপরও কোনো অপতৎপরতা দেখা গেলেই র্যাব ও কোস্টগার্ড তাঁদের সহায়তা করবে। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে এ মৌসুম শেষ হবে বলে আশা করেন তিনি।২০০৭ সালের সিডরে সুন্দরবনে ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় ওই বছর বন বিভাগ গোলপাতা সংগ্রহের পাস বন্ধ রাখে। এতে মৌসুমি গোলপাতার বাগান ও ঝাড়ের ব্যাপক ক্ষতি হয়। প্রতি বছর গোলপাতা সংগ্রহ করা না হলে পাতা নষ্ট হয়ে গোলপাতার বাগানে মড়ক ও ঝাড় ধ্বংস হয়ে যাওয়ার শঙ্কা থাকে। অপর দিকে সরকারও মোটা অঙ্কের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়। এ অবস্থা বিবেচনা করে সুন্দরবন বিশেষজ্ঞরা সিডর পরবর্তী নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারসহ প্রতি বছর গোলপাতা কাটার সুপারিশ করেন। বিশেষজ্ঞদের সুপারিশ অনুযায়ী বন বিভাগ ২০০৮ সালে পুনরায় গোলপাতা সংগ্রহের অনুমতি দেওয়া শুরু করে।
বাগেরহাট,খুলনা বিভাগ,ছাপা সংস্করণ,খুলনা সংস্করণ,খুলনা ৭,মোংলা
৬ লাখ মণ গোলপাতা আহরণের লক্ষ্য
national
https://samakal.com/politics/article/1605210869/রায়ের-বিরুদ্ধে-হরতাল-ডাকা-কি-আদালত-অবমাননা-নয়
;রায়ের বিরুদ্ধে হরতাল ডাকা কি আদালত অবমাননা নয়?;
আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিচারপতিদের নিয়ে কথা বললে আদালত অবমাননা হয়, মন্ত্রী-এমপিদের আদালতে তলব করা হয়। আর আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে যে হরতাল ডাকা হল, তা কি আদালত অবমাননা নয়? রোববার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের উদ্যোগে মতিউর রহমান নিজামীর ফাঁসির রায় শিগগিরই কার্যকরের দাবি ও হরতালের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী সমাবেশে এ কথা বলেন তিনি। এ সময় তিনি অবিলম্বে হরতাল আহ্বানকারীদের আদালতে তলব করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান। তিনি বলেন, 'বাংলাদেশে যে হরতাল হচ্ছে বোঝার কোনো উপায় নেই। কয়েকটি অনলাইন মিডিয়া ও পত্রিকা যদি জামায়াতের হরতালের খবর না প্রকাশ করত, তাহলে দেশের মানুষ জানত-ই না আজ হরতাল।' সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, 'কোনো গোষ্ঠী বা দলের দাবির ভিত্তিতে নয়, একাত্তরে সংঘটিত অন্যায়ের প্রতিকারের জন্যই আওয়ামী লীগ যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করছে।' সাম্প্রতিক হত্যাকাণ্ডের কথা উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, 'বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার আচঁলের নিচে ব্লগার, বিদেশী, ইমাম হত্যাকারীদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল।' তিনি বলেন, '২০১৯ সালেও বিএনপি ক্ষমতায় আসতে পারবে না জেনেই বিএনপি নেত্রী আলোচনায় থাকার জন্য প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের বিরুদ্ধে নোংরা মিথ্যাচার করছেন।' সংগঠনের সভাপতি চিত্রনায়ক ফারুকের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক ফালগুনী হামিদ, মুখপাত্র হাবিবুর রহমান, সহ-সভাপতি ফয়েজ উদ্দিন মিয়া, নাট্য ব্যাক্তিত্ব এম খালেকুজ্জামান প্রমুখ।
হাছান মাহমুদ
রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের উদ্যোগে এক সমাবেশে বক্তব্য রাখেন হাছান মাহমুদ
politics
https://www.prothomalo.com/entertainment/bollywood/দক্ষিণা-হাওয়া-লাগছে-সালমানের-গায়ে
দক্ষিণা হাওয়া লাগছে সালমানের গায়ে
দুই সুপারস্টার সালমান খান আর চিরঞ্জীবী। তাঁদের নিখাদ বন্ধুত্বের অনেক কাহিনি ভারতের চলচ্চিত্র আঙিনায় শোনা যায়। এই দুই সুপারস্টার এবার একসঙ্গে পর্দায় আসছেন।বেশ কিছুদিন ধরে বলিউডে কানাঘুষা, দক্ষিণি সুপারস্টার চিরঞ্জীবীর তেলেগু ছবি 'গডফাদার'-এ অভিনয় করবেন সালমান খান। সর্বশেষ খবর, সালমান এই ছবিটি করতে সম্মত হয়েছেন। এমনকি তিনি নাকি শুটিংয়ের দিনক্ষণ দিয়ে দিয়েছেন। আর তাই 'গডফাদার' ছবির মাধ্যমে ভাইজানের দক্ষিণি ছবির জগতে অভিষেক হতে চলেছে। সালমান আর চিরঞ্জীবীর মতো দুই সুপারস্টার পর্দায় একসঙ্গে আসা সিনেমাপ্রেমীদের জন্য অনেক বড় চমক হবে। মালয়ালম চলচ্চিত্র 'লুসিফর'-এর তেলেগু রিমেক চিরঞ্জীবীর এই ছবি। মালয়ালম সিনেমা 'লুসিফর'-এ মূল চরিত্রে ছিলেন খ্যাতনামা অভিনেতা মোহনলাল। আর ছবিটি পরিচালনা করেছিলেন পৃথ্বীরাজ সুকুমারন। 'গডফাদার' পরিচালনা করছেন মোহন রাজা। এত দিন সালমান দক্ষিণি ছবির একাধিক হিন্দি রিমেকে কাজ করেছেন। কিন্তু এখন তিনি দক্ষিণি ছবির আঙিনায় পা রাখতে প্রস্তুত। জানা গেছে, সালমানের সঙ্গে চিরঞ্জীবীর এক দীর্ঘ অ্যাকশন দৃশ্য রাখা হবে। সালমান আর চিরঞ্জীবী একে অপরের দারুণ বন্ধু। ২০১২ সালে চিরঞ্জীবীর পুত্র রামচরণ তাঁর হিন্দি অভিষেক ছবি 'জঞ্জির'-এর শুটিং মুম্বাইতে করেছিলেন। তখন সালমানের বাসা থেকে রোজ রামচরণের জন্য দুপুরের খাবার পাঠানো হতো। ভাইজান 'দাবাং থ্রি' ছবিতে 'মুন্না বদনাম হুয়া' গানের একটা নাচের স্টেপ চিরঞ্জীবীর এক নাচের স্টেপের অনুকরণ করেছিলেন। চিরঞ্জীবীর ৬০তম জন্মদিন উপলক্ষে তাঁর ছেলে রামচরণ হায়দরাবাদের পার্ক হায়াত হোটেলে এক রাজকীয় পার্টির আয়োজন করেছিলেন। ওই পার্টিতে যোগদানের জন্য ব্যক্তিগত বিমানে করে হায়দরাবাদে গিয়েছিলেন সালমান। আর পার্টিতে বন্ধুর জন্য জমিয়ে নাচ করেছিলেন ভাইজান।
সালমান খান,নায়ক,দক্ষিণী সুপারস্টার
সালমান খান ও চিরঞ্জীবী
entertainment
https://www.dailynayadiganta.com/cricket/605760/কবে-বিয়ে-করছেন-শাহিন-আফ্রিদি?
কবে বিয়ে করছেন শাহিন আফ্রিদি?
'বুম বুম'খ্যাত শহিদ আফ্রিদির মেয়েকে বিয়ে করছেন পাকিস্তান ক্রিকেটের বর্তমান সেনসেশন শহিন আফ্রিদি। এই বিয়ে নিয়ে বেশ আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে। এ প্রসঙ্গে মঙ্গলবার পাকিস্তানের ফাস্ট বোলার শাহিন আফ্রিদি বলেছিলেন, বিয়ে করতে কোনো তাড়াহুড়ো করছেন না তিনি। বরং বর্তমানে মনোনিবেশ করছেন ক্রিকেটে । ডেইলি জংকে দেয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে শাহিন আফ্রিদি বলেন, ভবিষ্যতে বিয়ের কথা ভাববেন তিনি। গাঁটছড়া বাঁধার পর তার মহিলা ভক্তদের মন ভেঙে যাবে কি না জানতে চাইলে শাহিন আফ্রিদি হেসে ফেলেন এবং মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকেন। সাবেক পাকিস্তান অধিনায়ক শাহিদ আফ্রিদির বড় মেয়ের সাথে এই বছরের শুরুতে শাহিন আফ্রিদির বাগদান হওয়ার খবর সোশ্যাল মিডিয়ায় দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে। কিছু দিন পরে অবশ্য শহিদ আফ্রিদি নিজে শাহিন আফ্রিদি তার মেয়ের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার খবরটি নিশ্চিত করেন। একটি বেসরকারি চ্যানেলকে দেয়া সাক্ষাৎকারে শহিদ আফ্রিদিকে তারকা পেসার শাহিনের সাথে তার মেয়ের বাগদান সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে, যার উত্তরে তিনি বলেছিলেন,আল্লাহ যদি চান, ভবিষ্যতে এই তরুণ বোলারই তার জামাতা হবেন।সাবেক অধিনায়ক উল্লেখ করেন, আমাদের আফ্রিদিদের মধ্যে আটটি উপগোত্র, শাহিন এবং আমরা ভিন্ন উপগোত্রের অন্তর্ভুক্ত। তিনি আরো বলেন, গত দুই বছর ধরে শাহিনের মা-বাবার ভীষণ ইচ্ছা ছিল, দুই পরিবারই তাদের মধ্যকার দীর্ঘদিনের পরিচয়কে আনুষ্ঠানিক সম্পর্কে রূপান্তরিত করুক। শাহিদ আফ্রিদি বলেন, তার মেয়ে ডাক্তার হতে চায়। বর্তমানে সে পাকিস্তান না ইংল্যান্ডে কোথায় উচ্চতর শিক্ষাগ্রহণ করবে তা ঠিক করতে ব্যস্ত। এর আগে শাহিনের বাবা আয়াজ খান গণমাধ্যমের সাথে কথা বলেন। তিনি নিশ্চিত করেন, উভয় পরিবারের মধ্য দীর্ঘদিনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে এবং শাহিদের পরিবার এই প্রস্তাবে সম্মত হয়েছে।সূত্র : জিও নিউজ
null
শাহিন আফ্রিদি
sports
https://www.ajkerpatrika.com/59352/%E0%A6%A6%E0%A7%8C%E0%A6%B2%E0%A6%A4%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%A6%E0%A7%80%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%98-%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%9C%E0%A6%9F
দৌলতদিয়ায় দীর্ঘ যানজট
দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমা অঞ্চলের প্রবেশদ্বার দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুট ব্যবহারকারী যাত্রী ও চালকদের ভোগান্তি কমছে না। গত এক সপ্তাহ ধরে যানবাহনের দীর্ঘ সারি সৃষ্টি হয়ে আসছে ঘাট এলাকায়। প্রতিটি যানবাহন দীর্ঘ সময় অপেক্ষায় থেকে ফেরিতে উঠতে হচ্ছে। ফলে ভোগান্তিতে পড়ছে চালক ও যাত্রীরা।শুক্রবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সকাল থেকে ঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের তিন কিলোমিটার এলাকায় পারের অপেক্ষায় রয়েছে বিভিন্ন যাত্রীবাহী বাস ও পণ্যবাহী ট্রাক। প্রতিটি যাত্রীবাহী পরিবহনকে তিন থেকে চার ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে। সেই সঙ্গে গত দুই থেকে তিন দিন আগের পণ্যবাহী ট্রাক রয়েছে পারের অপেক্ষায়।ঈগল পরিবহনের যাত্রী আশরাফুল জানান, সারা বছরই ভোগান্তির শিকার হয়ে তাঁদের পদ্মা পাড়ি দিতে হয়। এই ভোগান্তি থেকে মুক্তির একটাই পথ আর সেটা হলে দ্বিতীয় পদ্মা সেতু। এর কোনো বিকল্প নেই। এখানে ১০০ ফেরি দিলেও ভোগান্তি কমবে না।আরেক যাত্রী ইয়াসমিন আক্তার জানান, কত সময় বসে থাকা যায়! একে তো গরম, তার ওপর দীর্ঘ জ্যাম। এই নৌরুট গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। পনেরো বছর যাবৎ এই রুট দিয়ে যাতায়াত করেন। অধিকাংশ সময়ই ভোগান্তিতে পড়তে হয়।বিআইডব্লিউটিসির কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে ওই রুটের যানবাহনের চাপ পড়েছে দৌলতদিয়া ঘাটে। এ ছাড়া পাটুরিয়া ঘাট এলাকায় এবং দৌলতদিয়ার ৭ নম্বর ফেরিঘাটের কাছে ড্রেজিং চলায় ফেরি ভিড়তে পারছে না। ফলে দৌলতদিয়া ঘাট প্রান্তে যানবাহনের দীর্ঘ সারির সৃষ্টি হচ্ছে।বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক জামাল হোসেন জানান, এই রুটে ছোট-বড় মিল ১৯টি ফেরি চলাচল করছে। দৌলতদিয়ার ৭ নম্বর ঘাটে ড্রেজিং এবং শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় এই যানজট পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে। তবে তাঁরা মানুষের ভোগান্তি কমাতে যাত্রীবাহী পরিবহন অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে পারাপার করছেন।জামাল হোসেন আরও জানান, ঘাট এলাকায় ড্রেজিংয়ের কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত এবং শিমুলিয়া বাংলাবাজার নৌরুটে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এই যানজট পরিস্থিতির নিরসন হবে না।
রাজবাড়ী,ঢাকা বিভাগ,যানজট,দৌলতদিয়া,ভোগান্তি
দৌলতদিয়া ঘাটে দীর্ঘ যানজট।
national
https://www.dailynayadiganta.com/middle-east/589731/জরুরি-কারণে-বন্ধ-ইরানের-একমাত্র-পারমাণবিক-বিদ্যুৎকেন্দ্র
জরুরি কারণে বন্ধ ইরানের একমাত্র পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র
ইরানের একমাত্র পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বা বুশেহর পাওয়ার প্ল্যান্ট হঠাৎ করেই বন্ধ করেছে কর্তৃপক্ষ। দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে জানানো হয়, জরুরি কারণে সাময়িক ভাবে পাওয়ার প্ল্যান্টটি বন্ধ করা হয়েছে। তবে ঠিক কি কারণে তা বন্ধ করা হয়েছে এমন কোনো তথ্য দেয়নি কর্তৃপক্ষ। রোববার রাষ্ট্রীয় কোম্পানি তাভানিরের কর্মকর্তা ঘোলামালি রাখশানিমেহের জানান, বুশেহর পাওয়ার প্ল্যান্ট গত শনিবার থেকে বন্ধ রয়েছে। আরো তিন থেকে চার দিন বন্ধ থাকতে পারে এই পাওয়ার প্ল্যান্টটি। প্ল্যান্ট বন্ধ থাকার ফলে স্বাভাবিক ভাবেই বিদ্যুৎ ঘাটতি দেখা দিবে বলে জানান ওই কর্মকর্তা। রাশিয়ার সহায়তায় ২০১১ সালে চালু হবার পর এই প্রথমবারের মতো বন্ধ করা হলো পারমাণবিক এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি। সূত্র : ইউএনবি
ইরান,পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র
জরুরি প্রয়োজনে বন্ধ রাখা হয়েছে ইরানের একমাত্র পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র।
international
https://www.prothomalo.com/opinion/column/বিজেপির-বিজয়-অপ্রত্যাশিত-ছিল-না
বিজেপির বিজয় অপ্রত্যাশিত ছিল না
আবারও মোদি ম্যাজিকে কুপোকাত হলো তাঁর বিরোধীরা। তবে তাঁর এই পরপর দুই মেয়াদে নির্বাচিত হওয়া খুব আশ্চর্যের ব্যাপার নয়। এই মুহূর্তে ভারতে যা দরকার মোদি ঠিক তাই দিতে পারছেন। যদিও হিন্দুত্ববাদ, গোমাংস খাওয়া নিয়ে মুসলমানদের ওপর হামলা, প্রগতিশীল লেখকদের হত্যা ও আক্রমণ-এসব নানা কারণে তিনিকলঙ্কিত হয়েছেন।ঋণ খেলাপি হিরা ব্যবসায়ী নীরব মোদির ব্যাপারে প্রথম দিকে নীরব থাকা নিয়েও তাঁর সমালোচনা হয়েছে। কিন্তু ২০১৪ সালে কোন পরিপ্রেক্ষিতে মোদি ক্ষমতায় আসলেন, সেটি মাথায় রাখা দরকার। তার আগে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকার পর পর দুই মেয়াদে ক্ষমতায় ছিল। তাদের দ্বিতীয় মেয়াদের শেষের দিকে ভারতের প্রশাসনে স্থবিরতা নেমে আসে। তার সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ প্রায় সব মন্ত্রীর বিরুদ্ধেই ছিল দুর্নীতির অভিযোগ। প্রয়াত ভারতীয় সাংবাদিক কুলদীপ নায়ারের লেখা থেকে জানা যায়, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মনমোহন সিং ছিলেন রাবার স্ট্যাম্পের মতো। সব ফাইল নাকি সোনিয়া গান্ধীর বাড়িতে যেত। সেখান থেকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হতো। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মনমোহন সিংও তড়িৎ সিদ্ধান্ত নিতে পারতেন না। ফলে পুরো ব্যবস্থাই প্রায় অচল হতে বসেছিল। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মনমোহন সিংয়ের সঙ্গে নরেন্দ্র মোদির ব্যবধান যোজন যোজন। তবেভারতের আজকের শনৈঃ শনৈঃ উন্নতির পেছনে মনমোহন সিংয়ের অবদান অনেক। তিনিই অর্থমন্ত্রী হিসেবে অর্থনীতির উদারীকরণ ও আধুনিকায়নের নেতৃত্ব দেন। কিন্তু ২০০৪ সালে নির্বাচনে জয়ের পর সোনিয়া গান্ধী জন্মসূত্রে ইতালির নাগরিক হওয়ার কারণে প্রধানমন্ত্রী হতে পারেননি। প্রধানমন্ত্রী হন মনমোহন সিং। যদিও কার্যত ক্ষমতা থেকে যায় সোনিয়া গান্ধীর হাতে। সম্ভবত, এ কারণেই মনমোহন সিং প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পুরোপুরি কার্যকর হতে পারেননি। কংগ্রেসের জমানায় ভারতের প্রবৃদ্ধির হার এখনকার চেয়ে বেশি ছিল। কিন্তু এই যুগে ভারতের যেটা দরকার মোদি তা দিতে পেরেছেন। তা হলো, শক্তিশালী নেতৃত্ব। তিনি একজন শক্তিশালী শাসক, তাঁর নেতৃত্বে ভারত বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক রাজনীতির পরবর্তী স্তরে যেতে পারবে, দরকার হলে তার জন্য প্রতিবেশী দেশের ভেতরে গিয়ে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করতেও পারবে, নিজের এই ভাবমূর্তি প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছেন তিনি। তিনি এখন ভারতের সুপারম্যান। তাঁর নেতৃত্বে সামনে ভারতের সুদিন-আমজনতা তা কমবেশি বিশ্বাস করে। অন্যদিকে নিজ দলের গেরুয়া মতবাদকে ভারতের জাতীয়তাবাদে রূপান্তরিত করতে পেরেছেন তিনি। ক্রমবর্ধমান মুসলমান জনসংখ্যার ভীতি কাজে লাগিয়ে তিনি অত্যন্ত কৌশলে তা করতে পেরেছেন। অন্যান্য দল মুসলমান ভোট টানতে যে প্রতিযোগিতায় নেমেছে তাতে দেশটির সংখ্যাগুরুরা কিছুটা আতঙ্কিত। তাদের আশ্বস্ত করতে নাগরিকত্ব আইন সংশোধন করেছে বিজেপি। আবার সেই মোদি সৌদি আরব, ইরান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়ন করেছেন। মুসলিম বিশ্বের পুরোধারা তাঁকে ডেকে নিয়ে সম্মাননা দিয়েছেন। এতে আবার মুসলমান সম্প্রদায় আশ্বস্ত হয়েছে। তাদের মন জোগাতে এবার ছয়জন মুসলমান প্রার্থীও দিয়েছে বিজেপি। করপোরেটরা দ্রুত সিদ্ধান্ত চায়। আমলতান্ত্রিক জটিলতা ছাড়া কাজ করতে পারাটা তাদের কাছে সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত ব্যাপার। মোদি সেটা অনেকটাই নিশ্চিত করতে পেরেছেন। তড়িৎ সিদ্ধান্ত নিতে তাঁর জুড়ি নেই। এর আগে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে রাজ্যটিকে তিনি ভারতের সবচেয়ে আধুনিক ও ব্যবসা-সফল রাজ্য পরিণত করতে পেরেছেন। সে জন্য করপোরেটরা তাঁর ওপর আস্থা রেখেছেন। তিনিও প্রতিদান দিয়েছেন। বিশ্ব ব্যাংক বলছে, গত চার বছরে ভারতে ব্যবসা করা অনেক সহজ হয়েছে। তবে গত দুই বছরে এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি অগ্রগতি হয়েছে দেশটির। কোন দেশে কত সহজে ব্যবসা করা যায়, সেই সূচকের ভিত্তিতে বর্তমানে বিশ্বের ১৯০টি দেশের তালিকায় ভারত উঠে এসেছে ৭৭ নম্বরে। ২০১৪ সালে এই তালিকায় ভারত ছিল ১৪২ নম্বরে। বিশ্ব ব্যাংকের ইজি অব ডুয়িং বিজনেস প্রতিবেদন অনুযায়ী, নরেন্দ্র মোদির সরকার গঠনের পর সহজে ব্যবসা করার সূচকের নিরিখে ওই তালিকায় ভারত পেছন থেকে ৬৫টি স্থান টপকে সামনে এগিয়ে এসেছে। শুধু গত দুই বছরে আরও ৫৩টি দেশকে পেছনে ফেলে এগিয়ে গেল ভারত। স্যামসাং ভারতে বিশাল কারখানা করেছে এই মোদির যুগেই। অ্যাপল ও আমাজনের মতো প্রতিষ্ঠান ভারতে এখন চুটিয়ে ব্যবসা করছে। অন্যদিকে মোদির প্রথম জমানায় এক রাফায়েল কেলেঙ্কারি ছাড়া বড় ধরনের দুর্নীতির অভিযোগ ওঠেনি। এ ছাড়া তাঁর নীতির সুফলও মানুষ পাচ্ছেন। মোদি রিয়েল এস্টেট রেগুলেশন অ্যাক্ট বা রেরা নামে একটি আইন করেছেন। এই আইনের আওতায় ডেভেলপারদের বলতে হবে, তাঁর বিক্রীত ফ্ল্যাটটি কত বর্গফুটের, কত টাকায় তিনি সেটা বিক্রি করেছেন। ফলে প্রতারক প্রকৃতির ডেভেলপাররা সত্যটা বলতে বাধ্য হচ্ছেন। তাঁদের ওপর এটা চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এরপর বড় নোট বাতিল বা ডিমনিটাইজেশনের প্রসঙ্গে আসি, ধনী লোকেরা আহা উহু করেন, এতে গরিব মানুষদের ক্ষতি হচ্ছে। কিন্তু গরিব মানুষের ক্ষতি হলে তাঁরা মোদিকে ভোট দেবেন কেন? দ্বিতীয়ত, নোট বাতিলের কারণে সন্ত্রাসী ও দুর্নীতিবাজদের টাকা অচল হয়ে গেছে। যারা জাল নোট বানাত, তাদের টাকা অচল হয়ে গেছে। এরপর জিএসটিও দারুণ একটা ব্যাপার। এর সমস্যা হলো, এতে অনেক বেশি স্তর আছে। সিঙ্গাপুরে সবকিছুর ওপর সোজাসুজি ১০ শতাংশ রাজস্ব দিতে হয়, ভারতে সেটা করা সম্ভব হয়নি। এ ছাড়া কৃষকদের হিসাবে সরাসরি ভর্তুকির টাকা পাঠানোসহ কৃষক বান্ধব নানা কর্মসূচি তিনি নিয়েছেন। গত বছর ফসলের দাম কমে যাওয়ায় কৃষকেরা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও এসব প্রকল্পের প্রভাব অনস্বীকার্য। ভোটের ফলাফলেই তা পরিষ্কার। রাজনীতিতে সম্ভবত আদর্শের দিন শেষ। সারা পৃথিবীতেই এখন জনতুষ্টিবাদের জোয়ার চলছে। শাসকেরা এখন স্ট্রংম্যান-ট্রাম্প, মোদি, দুতার্তে, মাহাথির মোহাম্মদ প্রমুখ। বহুদলীয় গণতন্ত্রের রীতিনীতি মেনে শাসন পরিচালনা করা এদের সাজে না। তাঁরা সবকিছু ভেঙেচুড়ে দিয়ে নিজ সমর্থকদের তুষ্ট করতে চান। ভারতের মতো বর্ধিঞ্চু দেশের মানুষও এ রকম একজন স্ট্রংম্যানের অপেক্ষা করছিলেন। অন্যদিকে কংগ্রেসসহ অন্যরা মানুষকে কোনো বিকল্প কিছুর সন্ধান দিতে পারেনি। তাইগুজরাট দাঙ্গাসহ নানা কারণে কলঙ্কিত হলেওমোদির এই জয়জয়কার। প্রতীক বর্ধন: সাংবাদিকই-মেল: []
লেখকের কলাম,আন্তর্জাতিক,প্রতীক বর্ধন
লোকসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার শুরুতেই ক্ষমতাসীন দল বিজেপির প্রার্থীদের জয়-জয়কার। ফের ক্ষমতায় ফেরার আনন্দে উচ্ছ্বসিত দলটির কর্মী-সমর্থকেরা। শিলিগুড়ি, ভারত, ২৩ মে। ছবি: এএফপি
opinion
https://www.bd-pratidin.com/country/2022/04/26/764066
শেখ হাসিনার লক্ষ্য দেশে কোনো ভূমিহীন-গৃহহীন থাকবে না : মতিয়া চৌধুরী
কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, যতদিন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকবে, ততদিন দেশে ভূমিহীন ও গৃহহীন থাকবে না। শেখ হাসিনার লক্ষ্য দেশে কোনো ভূমিহীন-গৃহহীন থাকবে না। মঙ্গলবার মতিয়া চৌধুরী তার নির্বাচনী এলাকা নকলা ও নালিতাবাড়ীতে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণকালে এসব কথা বলেন। মতিয়া চৌধুরী আরও বলেন, আজ তৃতীয় পর্যায়ে অসহায়দের জমিসহ ঘর দেওয়া হচ্ছে। ভিজিএফ, ভিজিডি ও নগদ টাকা সহায়তা যাই বলেন, সবই জনগণের ট্যাক্সের টাকা থেকে সংগ্রহ করা। তাই এগুলো আমি প্রকাশ্যে দিবালোকে বিতরণ করতে পছন্দ করি। পেছন থেকে কেউ যেন আঙুল তুলতে না পারে। তিনি বলেন, দেশে গণতন্ত্র আছে বলেই শেখ হাসিনা বার বার ক্ষমতায় আসেন। দেশের উন্নয়ন করছেন। সাধারণ মানুষ গণতন্ত্রের স্বাদ ভোগ করছেন। এ সময় নকলা ও নালিতাবাড়ী উপজেলার দলীয় নেতাকর্মী ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বিডি প্রতিদিন/এমআই
শেখ, হাসিনা, ভূমিহীন, গৃহহীন, মতিয়া
ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ করছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মতিয়া চৌধুরী।
national
https://www.ajkerpatrika.com/57721/%E0%A6%85%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8B%E0%A6%A8%E0%A7%9F%E0%A6%A8-%E0%A6%AA%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%A8-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%81%E0%A6%A7%E0%A6%A8
অ্যাপসায় মনোনয়ন পেলেন বাঁধন
এশিয়া প্যাসিফিক স্ক্রিন অ্যাওয়ার্ডসে (অ্যাপসা) সেরা অভিনেত্রী শাখায় মনোনয়ন পেয়েছেন অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। 'রেহানা মরিয়ম নূর' ছবির নাম ভূমিকায় অভিনয় করে বিশ্বমঞ্চে আগেই প্রশংসা পেয়েছেন এই অভিনেত্রী।অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের গোল্ড কোস্ট শহরে আগামী ১১ নভেম্বর বিজয়ীদের তালিকা ঘোষণা করা হবে। এবার বসবে অ্যাপসা'র ১৪তম আসর। ২৫টি এশিয়া প্যাসিফিক দেশের মোট ৩৮টি ছবি মনোনয়ন তালিকায় রয়েছে। অ্যাপসায় সেরা অভিনেত্রী বিভাগে বাঁধনের প্রতিদ্বন্দ্বী অস্ট্রেলিয়ার লিয়া পারসেল (দ্য ড্রোভারস ওয়াইফ: দ্য লিজেন্ড অব মলি জনসন), নিউজিল্যান্ডের এসি ডেভিস (দ্য জাস্টিস অব বানি কিং), ইসরায়েলের আলেনা ওয়াইভি (এশিয়া) এবং রাশিয়ার ভ্যালেন্টিনা রোমানোভা-চিস্কাইরি (পুগায়া)। এদিকে গত ১৫ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ সেন্সর বোর্ড সদস্যদের আপত্তি ছাড়াই বাণিজ্যিক প্রদর্শনের জন্য ছাড়পত্র পেলো 'রেহানা মরিয়ম নূর'। চলছে উৎসবের বাইরে এসে মুক্তির প্রস্তুতি। সিনেমার নির্বাহী প্রযোজক এহসানুল হক বাবু জানান, সব ঠিক থাকলে আসছে অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে দেশের প্রেক্ষাগৃহে সিনেমাটি দেখতে পারবেন দর্শক।ছবিটি পরিচালনা করেছেন আবদুল্লাহ মোহাম্মদ সাদ। বাংলাদেশের প্রথম সিনেমা হিসেবে ৭৪তম কান চলচ্চিত্র উৎসবের 'আঁ সার্তেঁ রিগা' বিভাগে অংশ নেয় 'রেহানা'।বেসরকারি মেডিকেল কলেজের শিক্ষক রেহানা মরিয়ম নূরকে কেন্দ্র করে ছবির গল্প। কলেজে সংঘটিত অপ্রত্যাশিত একটি ঘটনা দেখে ফেলে রেহানা। এর পর থেকে সে তার এক ছাত্রীর পক্ষ হয়ে সহকর্মী অপর শিক্ষকের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে ওঠে।
বিনোদন,সিনেমা,অভিনেত্রী,বাংলা সিনেমা,আজমেরী হক বাঁধন
আজমেরি হক বাঁধন। ফেসবুক
entertainment
https://www.prothomalo.com/politics/খালেদা-জিয়ার-স্বাস্থ্য-নিয়ে-নির্মম-প্রহসন-করছে
খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে নির্মম প্রহসন করছে বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অসুস্থতা ও চিকিৎসা নিয়ে বিএনপি রাজনীতি করতে গিয়ে বিষয়টিকে নির্মম প্রহসনে পরিণত করেছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। আজ জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা নিয়ে অপরাজনীতি করেই যাচ্ছে। বাস্তবে, সরকার তার সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে সব ধরনের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মলীগ বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে। হাছান মাহমুদ বলেন, খালেদা জিয়া দেশের সর্বোত্তম মেডিকেল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসা নিচ্ছেন। এখন বিএনপির নেতারা দাবি করছেন যে খালেদা জিয়া খুবই অসুস্থ। অথচ বাস্তবতা হচ্ছে তিনি শুধু কাশির সমস্যায় ভুগছেন।মন্ত্রী আরও বলেন, খালেদা জিয়ার পা ও কোমরের ব্যথা বার্ধক্যজনিত স্বাস্থ্য জটিলতা। কিন্তু বিএনপি নেতারা ভুলভাবে উপস্থাপন করে এটাকে নতুন সমস্যা হিসেবে দেখাচ্ছেন। আওয়ামী লীগের এই নেতা আরও বলেন, খালেদা জিয়া পায়ে ও কোমরে ব্যথা নিয়ে দুই দফা প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধীদলীয় নেতার দায়িত্ব পালন করেন।তিনি বলেন, জেলখানায় একজন চিকিৎসক, একজন নার্স ও একজন গৃহকর্মী সর্বক্ষণ তাঁর দেখভাল করছেন। দক্ষিণ এশিয়ার আর কেউ কোনো জেলখানায় তাঁর মতো সুযোগ পাচ্ছে না। অথচ তা সত্ত্বেও বিএনপি নেতারা নির্জলা মিথ্যা বলেই যাচ্ছেন।হাছান মাহমুদ বলেন, খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে বিভ্রান্ত ছড়ানোর কোনো সুযোগ নেই। তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'এ ধরনের মন্তব্য করে অল্প দিনেরই মধ্যেই বিএনপির নেতারা নিজেদের হাস্যস্পদে পরিণত করছেন। এ ধরনের হৃদয়হীন কৌতুক না করার জন্য আমি বিএনপি নেতৃবৃন্দকে অনুরোধ করছি।' তিনি বিএনপির নেতাদের গঠনমূলক সমালোচনার মাধ্যমে উন্নয়নশীল এই দেশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করার আহ্বান জানান। তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রাণঘাতী এডিস মশার কামড়ে বহু মানুষ বাড়িতে ডেঙ্গু জ্বরের চিকিৎসা নিচ্ছেন। অনেকে এই প্রাণঘাতী রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন। এ ব্যাপারে তিনি আরও বলেন, সরকার ডেঙ্গু প্রতিরোধে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। কিন্তু প্রত্যেককেই তাদের বাড়ি, বাড়ির আঙিনা ও আশপাশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। পাশাপাশি, মশার প্রজননক্ষেত্র ধ্বংস করতে হবে যাতে প্রাণঘাতী এডিস মশার বিস্তার না ঘটে। তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে একসঙ্গে ডেঙ্গু মোকাবিলা করার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে সরকারের পাশাপাশি আওয়ামী লীগও অনেক পদক্ষেপ নিয়েছে। আসাদুজ্জামান দুর্জয়ের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের নেতা বলরাম পোদ্দার, মুন্সি এবাদুল ইসলাম প্রমুখ।
তথ্যমন্ত্রী,বিএনপি,রাজনীতি,খালেদা জিয়া
হাছান মাহমুদ
politics
https://www.bhorerkagoj.com/2019/03/17/%e0%a6%86%e0%a6%97%e0%a7%88%e0%a6%b2%e0%a6%9d%e0%a6%be%e0%a7%9c%e0%a6%be%e0%a7%9f-%e0%a6%87%e0%a6%81%e0%a6%a6%e0%a7%81%e0%a6%b0-%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%ab%e0%a6%be/
আগৈলঝাড়ায় ইঁদুর মারার ফাঁদে কৃষকের মৃত্যু
বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলায় ইঁদুর মারার বৈদ্যুতিক ফাঁদে জড়িয়ে আব্বাস ঘরামি (৫৫) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।আজ রোববার বিকেলে উপজেলার রাজিহার গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা জানান, চাষিরা ইরি ধানক্ষেত দেখতে গিয়ে জমিতে আব্বাস ঘরামির মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন। মৃত আব্বাস ঘরামি উপজেলার চেঙ্গুটিয়া গ্রামের কেতাব আলী ঘরামির ছেলে। স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলা রাজিহার ও চেঙ্গুটিয়া গ্রামের সীমান্তবর্তী এলাকার কৃষক অমিও পাত্র তার জমি থেকে ইঁদুর তাড়ানোর জন্য কাউকে না জানিয়ে বিদ্যুতের লাইন দিয়ে ফাঁদ পাতেন। রোববার বিকেলে স্থানীয় চাষিরা তাদের ইরি ক্ষেত দেখতে গিয়ে অমিও পাত্রের জমিতে কৃষক আব্বাস ঘরামির মরদেহ দেখতে পান। কৃষকদের ধারণা আব্বাস ঘরামি সকালে জমিতে এসে বিদ্যুতায়িত হয়ে মারা যান। ধানক্ষেতের মধ্যে পড়ে থাকায় আব্বাসের মরদেহ দেখা যায়নি। আগৈলঝাড়া থানা পুলিশের ওসি মো. আফজাল হোসেন বলেন, আব্বাস ঘরামি নামে এক কৃষক ইঁদুর মারার বৈদ্যুতিক ফাঁদে জড়িয়ে মৃত্যুর খবর পেয়ে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় কারও সম্পৃক্ততা থাকলে আইনের আওতায় আনা হবে।
null
বরিশাল
national
https://www.dailynayadiganta.com/africa/625061/মোগাদিসুতে-গাড়িবোমা-হামলায়-নিহত-৮
মোগাদিসুতে গাড়িবোমা হামলায় নিহত ৮
পূর্ব আফ্রিকার দেশ সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিসুতে গাড়িবোমা বিস্ফোরণে আটজন নিহত ও আরো ১৭ জন আহত হয়েছে। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সকালে জাতিসঙ্ঘের এক নিরাপত্তা গাড়িবহরকে লক্ষ্য করে এই হামলা চালানো হয়। বিস্ফোরণের প্রচণ্ড শব্দে পুরো মোগাদিসু শহর কেঁপে ওঠে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘটনাস্থলে গোলাগুলির শব্দও শোনা যায়। সোমালিয়ার উগ্রবাদী সংগঠন আল-শাবাব হামলার জন্য দায়িত্ব স্বীকার করেছে। ঘটনার বিষয়ে মোগাদিসুতে এক সংবাদ সম্মেলনে দেশটির পুলিশের মুখপাত্র আবদি ফাতাহ আদেন হাসান বলেন, 'আমরা আট নিহত এবং ১৩ শিক্ষার্থীসহ ১৭ আহতের সংখ্যা পেয়েছি।' তিনি জানান, আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী তার বিস্ফোরকভর্তি গাড়ি নিয়ে জাতিসঙ্ঘের নিরাপত্তা গাড়িবহর লক্ষ্য করে এই হামলা করে। মোগাদিসুর এক স্কুলের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় জাতিসঙ্ঘের গাড়িবহর লক্ষ্য করে হামলা করা হয়। তবে বোমা হামলায় জাতিসঙ্ঘের কোনো কর্মকর্তা বা কর্মী হতাহত হয়েছেন কি না, তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। হামলার বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলে জাতিসঙ্ঘের কর্মকর্তাদের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। মোগাদিসুর প্রাণকেন্দ্র কে-ফোর জংশনে এই বিস্ফোরণ এত জোরালো ছিলো যে কাছাকাছি থাকা ভবনের দেয়াল ধসে পড়ে। কাছাকাছি ওসমান হাসপাতালের এক নার্স মোহাম্মদ হুসাইন জানান, তাকে ধসে পড়া ধ্বংসস্তুপের নিচ থেকে বের করা হয়েছে। তিনি বলেন, 'আমাদের হাসপাতালের দেয়াল ধসে পড়েছে। আমাদের বিপরীতে থাকা একটি বিদ্যালয়ের দেয়ালও ধসে পড়েছে। আমি জানি না ঠিক কতজন মারা গেছে।' আল-শাবাব তার আন্দালুস রেডিওতে প্রচারিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, বৃহস্পতিবারের এই হামলা আফ্রিকান ইউনিয়নের শান্তিরক্ষী গাড়িবহরে থাকা পশ্চিমা কর্মকর্তাদের লক্ষ্য করে চালানো হয়েছে। আলকায়েদা সংশ্লিষ্ট এই সংগঠনটি দীর্ঘদিন থেকেই সোমালিয়ায় দেশটির সামরিক বাহিনী ও শান্তিরক্ষী মিশন লক্ষ্য করে হামলা চালিয়ে আসছে। সূত্র : আলজাজিরা
আফ্রিকা,সোমালিয়া,বিস্ফোরণ
হতাহতদের নিয়ে যাচ্ছেন মেডিক্যাল কর্মীরা
international
https://www.prothomalo.com/bangladesh/district/মওদুদ-আহমদের-মৃত্যু-স্বাভাবিক-নয়-আমীর-খসরু-মাহমুদ-চৌধুরী
মওদুদ আহমদের মৃত্যু স্বাভাবিক নয়: আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী
বিএনপির প্রয়াত নেতা মওদুদ আহমদের মৃত্যু স্বাভাবিক মৃত্যু ছিল না বলে মন্তব্য করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, 'মওদুদ ভাইয়ের মৃত্যু খুবই দুঃখজনক। অনেক অসমাপ্ত কাজ উনি রেখে গেছেন। গণতন্ত্রের মাকে মুক্ত করা, তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে এনে নেতৃত্বের শীর্ষস্থানে আনা, এই কাজগুলো শেষ করতে পারেননি মওদুদ ভাই। এগুলো করতে গিয়ে উনি এই ফ্যাসিস্ট সরকারের অনেক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। ওনার মৃত্যু স্বাভাবিক মৃত্যু নয়। ওনাকে বিভিন্নভাবে লাঞ্ছিত করা হয়েছে।' আজ বুধবার বিকেলে মওদুদ আহমদের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তাঁর নির্বাচনী এলাকা নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলায় আয়োজিত স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, 'মওদুদ ভাইকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু মওদুদ ভাই অব্যাহতভাবে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে লিপ্ত ছিলেন। অনেক রাজনীতিবিদ সংগত-অসংগত কারণে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতেন না, কথা বললে যদি বিপদ হয়। কিন্তু মওদুদ ভাই সব সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতেন।' আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী আরও বলেন, 'আমাদের ছেলেগুলো আজকে কঠিন পরীক্ষার মধ্যে জ্বলেপুড়ে খাঁটি সোনায় পরিণত হয়েছে। জেল খেটেছে, মামলা খেয়েছে, খুন-গুমের শিকার হয়েছে। কিন্তু একটা ব্যক্তি সামান্যমাত্র হেলে নাই। সবাই যার যার জায়গায় কঠিন থেকে কঠিনতর অবস্থার দিকে যাচ্ছে। তারা জ্বলেপুড়ে খাঁটি সোনায় পরিণত হয়েছে। এই খাঁটি সোনাকে কেউ কিছু করতে পারবে না, আমরা জয়ী হব।' কবিরহাট মডেল হাইস্কুল মাঠে অনুষ্ঠিত স্মরণসভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবদুর রহিম। জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি নাজমুল হুদার সঞ্চালনায় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন মওদুদ আহমদের সহধর্মিণী হাসনা জসীমউদ্দীন মওদুদ, কবিরহাট পৌরসভা বিএনপির আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সহিদুল ইসলাম, জেলা বিএনপির সদস্য গোলাম মৌমিত, যুবদলের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি মোশারফ হোসেন প্রমুখ।
বিএনপি,নোয়াখালী,চট্টগ্রাম বিভাগ
নোয়াখালীতে প্রয়াত মওদুদ আহমদের স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিলে বক্তব্য রাখছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। বুধবার বিকেলে কবিরহাট মডেল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে
national
https://www.bhorerkagoj.com/2021/04/09/%e0%a6%9f%e0%a7%87%e0%a6%a8%e0%a6%bf%e0%a6%b8%e0%a7%87-%e0%a6%8f%e0%a6%95%e0%a6%95%e0%a7%87-%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%9c%e0%a6%b6%e0%a6%be%e0%a6%b9%e0%a7%80%e0%a6%b0-%e0%a6%87%e0%a6%ae%e0%a6%a8/
টেনিসে এককে রাজশাহীর ইমন, দ্বৈতে রঞ্জন-দিপুর সোনা জয়
বঙ্গবন্ধু ৯ম বাংলাদেশ গেমস টেনিস ইভেন্টের এককে সোনা জিতেছেন রাজশাহীর ছেলে ইমন ইসলাম। ইমন রাজশাহীর অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম টেনিস কমপ্লেক্সের খেলোয়াড় ছিলেন। আর রুপা জিতেছেন মাদারীপুরের ছেলে রুবেল হোসেন। এছাড়া ব্রোঞ্জ পদক পেয়েছেন ঢাকার বিপ্লব। অন্যদিকে ছেলেদের দ্বৈত ইভেন্টে সোনা জিতেছেন মামা-ভাগনে দিপু লাল ও রঞ্জন রাম জুটি। আর রুপা জিতেছেন আনোয়ার ও অমল রায় জুটি। এই ইভেন্টে ব্রোঞ্জ পদক পেয়েছেন ফরহাদ ও রোমান জুটি। তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি আব্দুল বাতেন, অতিরিক্ত ডিআইজি টিএম মোজাহিদুল ইসলাম, রাজশাহী মহানগর পুলিশের কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক। বৃহস্পতিবার (০৮ এপ্রিল) বিকালে রাজশাহীর অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম টেনিস কমপ্লেক্সে একক ইভেন্টের ফাইনালে রাজশাহীর ইমন ইসলাম ৬-৩, ৭-৫ সেটে মাদারীপুর জেলার রুবেল হোসেনকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। আর রুবেল হোসেন রানারআপ হয়েছেন। এছাড়া এই ইভেন্টের তৃতীয় স্থান নির্ধারণী খেলায় ঢাকার গুলশান ক্লাব লিমিটেডের বিপ্লব ৬-৪, ৬-৩ সেটে জাতীয় টেনিস কমপ্লেক্সের কাওছার আলীকে হারিয়েছে। এদিকে ছেলেদের দ্বৈত ফাইনালে ইন্টারন্যাশনাল ক্লাবের রঞ্জন রাম ও নর্ডিক ক্লাবের দিপু লাল জুটি ৭-৫,৬-২ সেটে ঢাকা ইঞ্জিনিয়ার্স ক্লাবের অমল রায় ও জাতীয় টেনিস কমপ্লেক্সের জুয়েল রানা জুটিকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। আর রানারআপ হয়েছেন অমল রায় ও জুয়েল রানা জুটি। এই ইভেন্টের তৃতীয় স্থান নির্ধারণী খেলায় বিকেএসপির ফরহাদ ও রোমান জুটি ৬-৪,৬-১ সেটে রাজশাহীর অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম টেনিস কমপ্লেক্সের রুমন ও টিংকু জুটিকে পরাজিত করেছে। বুধবার (৭ এপ্রিল) মিক্সড ডাবলসে সোনা জিতেছেন রঞ্জন রাম ও আফ্রানা ইসলাম প্রীতি জুটি। আর রৌপ্য জিতেছেন অমল রায় ও সুস্মিতা সেন জুটি। এছাড়া এই ইভেন্টে ব্রোঞ্জ পদক পেয়েছেন রোমান ও সুবর্ণা জুটি। সোমবার (৫ এপ্রিল) মেয়েদের এককে সোনা জিতেছেন বিকেএসপির জেরিন সুলতানা জলি। আর রুপা জিতেছেন ঝালকাঠির সুস্মিতা সেন। এছাড়াও এই ইভেন্টে ব্রোঞ্জ পদক জিতেছেন বাগেরহাটের আফ্রানা ইসলাম প্রীতি। শনিবার (৩ এপ্রিল) মেয়েদের দ্বৈত বিভাগে সোনা জিতেছেন বিকেএসপির ঈশিতা আফরোজ ও জেরিন সুলতানা জলি জুটি, রুপা জিতেছেন বিকেএসপির রিনভী ও সুবর্ণা জুটি এবং ব্রোঞ্জ পেয়েছেন বিকেএসপির মাসুদা ও সাদিয়া।টেনি
টেনিস,বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ গেমস
পুরস্বিকার হাতে জয়ী খেলোয়াররা
sports
https://www.prothomalo.com/bangladesh/district/৮-মাসের-মাথায়-সড়ক-বেহাল
৮ মাসের মাথায় সড়ক বেহাল
সড়কটি দিয়ে অনবরত চলাচল করছে বালুবোঝাই ১০ চাকার ট্রাক। পাশাপাশি চলছে অসংখ্য ট্রাক্টর। সংস্কারের মাত্র আট মাসের মাথায় পঞ্চগড়ের ব্যারিস্টার ইনস্টিটিউট-গোয়ালঝাড় সড়কটি বেহাল হয়ে গেছে। পিচ উঠে সড়কের বিভিন্ন স্থানে তৈরি হয়েছে খানাখন্দ। গাড়ি চললে ধুলায় ভরে যায় চারপাশ। স্থানীয় ব্যক্তিরা বলছেন, এ সড়ক দিয়ে অনেক ট্রাক চলাচল করে। কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সেভাবে মজবুত করে সড়কটি সংস্কার করেনি। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরও (এলজিইডি) কাজটি সঠিকভাবে তদারক করেনি। এলজিইডি পঞ্চগড় কার্যালয়ের সূত্রে জানা যায়, ২০২০-২১ অর্থবছরে পঞ্চগড় সদর উপজেলার ব্যারিস্টার ইনস্টিটিউট-গোয়ালঝাড় সড়কটি সংস্কার করা হয়। ৪ দশমিক ২ কিলোমিটার সড়কটি সংস্কার করতে ১ কোটি ৮৮ লাখ টাকা ব্যয় করা হয়। মেসার্স বজলুর রহমান নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান গত বছরের ৩০ মে এ সংস্কারকাজ শেষ করে। গতকাল শুক্রবার সরেজমিনে দেখা যায়, সড়কটি পঞ্চগড় শহর থেকে পঞ্চগড়-বাংলাবান্ধা মহাসড়কের সঙ্গে যুক্ত। সড়ক দিয়ে অনবরত চলাচল করছে বালুবোঝাই ১০ চাকার ট্রাক। করতোয়া নদীর বালুমহাল ও বিভিন্ন পাথর কোয়ারি থেকে নিয়ে আসা পাথর-বালুবোঝাই ট্রাকের পাশাপাশি চলছে অসংখ্য ট্রাক্টর। এতে সড়কের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। ব্যারিস্টার বাজার থেকে লাঠুয়াপাড়া পর্যন্ত এ দুই কিলোমিটার অংশ বেশি খারাপ। সড়কের এ অংশের পিচঢালাই প্রায় পুরোটা উঠে গেছে। ধুলার কারণে বাড়িঘর ও গাছপালাগুলো বিবর্ণ হয়ে গেছে। স্থানীয় লোকজন বলেন, সড়কটিতে অতিরিক্ত ট্রাক ও ট্রাক্টর চলাচল করায় ছোট যানবাহন ও পথচারীরা পড়ছেন বিপাকে। এতে প্রায় প্রতিনিয়তই ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটছে। ধুলা থেকে রক্ষা পেতে কিছু কিছু বাড়ি ও দোকানের সামনে ভুক্তভোগীরাই পানি ছিটিয়ে দিচ্ছেন। দোমনী সরকারপাড়া এলাকার বাসিন্দা নুর মোহাম্মদ বলেন, এ সড়কে নতুন করে পিচঢালাই দেওয়ার মাত্র আট মাস হয়েছে, তাতেই সড়কটি পাকা কি না, বোঝা যায় না। প্রতিদিন শত শত ট্রাক চলাচল করায় আশপাশের বাড়িগুলোর লোকজন ধুলায় টিকতে পারেন না। ছোট সড়ক হওয়ায় দুই দিক থেকে দুটি ট্রাক এলে অন্য কোনো যানবাহন আর পাশ কেটে যেতে পারে না। এর আগে একবার স্থানীয় লোকজন এ সড়কে যেন ১০ চাকার ট্রাক না ঢোকে, সে জন্য আন্দোলনও করেছেন। পরে প্রশাসনের লোকজন এসে আশ্বাস দিয়ে চলে গেছেন কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। সাদ্দাম হোসেন নামের একজন পাথর-বালু ব্যবসায়ী বলেন, 'ইউনিয়ন পরিষদ, বালুমহাল সব জায়গাতেই আমাদের টাকা দিতে হয় কিন্তু রাস্তা তো ঠিক করে দেয় না।' এলজিইডি সূত্র জানায়, সংস্কারকাজ সঠিকভাবে হয়েছে। এ সড়ক দিয়ে পাঁচ থেকে ছয় মেট্রিক টন পণ্য নিয়ে গাড়ি যাওয়ার নিয়ম, কিন্তু সড়কটি দিয়ে দিনে ৪০ মেট্রিক টন ওজনের শতাধিক ট্রাক যাতায়াত করছে। এতে সড়কটি নষ্ট হয়ে গেছে। পঞ্চগড় এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শামছুজামান বলেন, ওই সড়ক দিয়ে ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত পণ্যবাহী যানবাহন চলাচল করায় এমন পরিস্থিতি হয়েছে। সড়কটি রক্ষায় তাঁরা ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়েছেন। জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে জেলার সমন্বয় সভায় আলোচনা হয়েছে। এলজিইডি সহযোগিতা চাওয়ামাত্রই সেখানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে।
সড়ক ও জনপথ,পঞ্চগড়
পঞ্চগড়ের ব্যারিস্টার ইনস্টিটিউট-গোয়ালঝাড় সড়ক সংস্কারের আট মাসের মধ্যে বেহাল হয়ে গেছে। সড়কের পিচঢালাই উঠে গেছে। ধুলায় ছেয়ে গেছে চারদিক। গতকাল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে
national
https://samakal.com/international/article/220297038/ছাড়া-পেলেন-সাবেক-রাষ্ট্রদূত-খায়রুজ্জামান
ছাড়া পেলেন সাবেক রাষ্ট্রদূত খায়রুজ্জামান
ছাড়া পেলেন মালয়েশিয়ায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ খায়রুজ্জামান। বুধবার মালয়েশিয়ার একটি আদালত তাকে মুক্তির নির্দেশ দেয়। এর আগে গত সপ্তাহে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। খায়রুজ্জামানের স্ত্রী রিটা রহমানের বরাত দিয়ে ফ্রি মালয়েশিয়া টুডে অনলাইন জানিয়েছে, মুক্তি পাওয়ার পর খায়রুজ্জামান তার স্ত্রীকে ফোন করে এই খুশির খবর জানান। রিটা রহমান বলেন, তিনি (খায়রুজ্জামান) আমাকে ফোন করে বলেছেন আইনজীবীরা তাকে রিসিভ করে বাড়িতে পৌঁছে দিতে সেখানে রয়েছেন। ফ্রি মালয়েশিয়া টুডেকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রিটা রহমান বলেন, সৃষ্টিকর্তাকে এবং তার মুক্তিতে সহায়তাকারী সবাইকে ধন্যবাদ। এই জন্য মালয়েশিয়ান কর্তৃপক্ষকেও ধন্যবাদ জানাই। খায়রুজ্জামানের আইনজীবী জিও চৌ ইং বলেন, কোনো ধরনের শর্ত ছাড়াই তিনি মুক্তি পেয়েছেন। তিনি এখন একজন স্বাধীন মানুষ। তিনি জানান, স্থানীয় সময় ১টার দিকে খায়রুজ্জামানের মুক্তির ব্যাপারে তাদেরকে অবহিত করে তাকে (খায়রুজ্জামান) রিসিভ করতে যেতে বলা হয়। উল্লেখ্য, এর আগে গত বৃহস্পতিবার ভোরে খায়রুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করে মালয়েশিয়ার অভিবাসন পুলিশ। সেদিন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হামজাহ জাইনুদিন বলেছিলেন, আইন মেনেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ রয়েছে এবং তাকে গ্রেপ্তারে তার নিজের দেশ থেকে অনুরোধ ছিল। তবে ঠিক কি অভিযোগ তার বিরুদ্ধে আছে সেই ব্যাপারে তখন কিছু জানাননি তিনি। সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর খায়রুজ্জামান ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর কারাগারে চার জাতীয় নেতা হত্যায় অভিযুক্ত ছিলেন। নানা রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর ২০০৭ সালে তাকে মালয়েশিয়ায় হাইকমিশনার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে তাকে ঢাকায় ফিরতে বলা হয়। কিন্তু দেশে ফেরায় ঝুঁকি আছে দাবি করেন তিনি এবং জাতিসংঘের শরণার্থী হিসেবে একটি পরিচয়পত্র নেন। এরপর থেকে এক দশকেরও বেশি সময় ধরে তিনি শরণার্থী হিসেবে দেশটিতে বসবাস করছেন।
মোহাম্মদ খায়রুজ্জামান,সাকেব হাইকমিশনার,মালয়েশিয়া,জেলহত্যা মামলা
মুক্তি পাওয়ার পর আইনজীবীদের সঙ্গে খায়রুজ্জামান। : ফ্রি মালয়েশিয়া টুডে
international
https://www.ajkerpatrika.com/7359/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%9F%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%87-%E0%A6%B0%E0%A6%82%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A6%8F%E0%A6%B8%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A7%80%E0%A7%9F-%E0%A6%95%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A7%8B%E0%A6%B0%E0%A7%80
প্রেমের টানে রংপুরে এসে বিপাকে ভারতীয় কিশোরী, গ্রেপ্তার ২
রংপুর: প্রেমের টানে ভারত থেকে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করে রংপুরে এসে বিপাকে পড়েছেন প্রীতি পণ্ডিত (১৭) নামে এক ভারতীয় কিশোরী। এ ঘটনায় প্রেমিক মিলন (২৪) ও তাঁর সহযোগী হাবিবুর রহমানকে (২৪) মানবপাচার আইনে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ রোববার দুপুরে ওই দুজনকে জেল হাজতে পাঠিয়েছেন আদালত।এর আগে গত শনিবার (২৬ জুন) মিঠাপুকুর উপজেলার রানীপুকুর ইউনিয়নের নূরপুর বালাপাড়া এলাকার জনৈক লতিফুল ইসলামের বাড়ি থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করে রংপুর কোতোয়ালি থানা-পুলিশ।রংপুর কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর আলম জানান, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার মন্টু পণ্ডিতের মেয়ে প্রীতি পণ্ডিতের (১৭) সঙ্গে রংপুর সদর উপজেলার সদ্যপুস্করিণী ইউনিয়নের মহির উদ্দিনের ছেলে মিলনের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পরিচয় হয়। এরপর দুজনের মধ্যে গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক। সেই সূত্রে গত ২৪ জুন ভারত থেকে যশোরের বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে বাংলাদেশে আসেন প্রীতি। গত কয়েক দিন ধরে সদ্যপুস্করিণী ইউনিয়নের পালিচড়া ফাজিল খা গ্রামে মিলনের বাড়িতে অবস্থান করছিলেন প্রীতি। তাঁর অবস্থানের খবর পেয়ে গতকাল শনিবার দুপুরে অভিযানে নামে পুলিশ। তবে পুলিশের অভিযানের খবর পেয়ে পালিয়ে যান তাঁরা। পরে মিলন ও তার এক সহযোগী একই গ্রামের বাবলু মিয়ার ছেলে হাবিবুর রহমানকে (২৪) পার্শ্ববর্তী মিঠাপুকুর উপজেলার রানী পুকুর ইউনিয়নের নূরপুর বালাপাড়া এলাকার জনৈক লতিফুল ইসলামের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় প্রীতি পণ্ডিতকে উদ্ধার করে সেফ হোমে নেওয়া হয়।রংপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, এ ঘটনায় থানার এসআই জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে মানবপাচার আইনে মিলন, হাবিবুর এবং ভারতীয় তরুণীকে আশ্রয়দাতা লতিফুল ইসলামকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। মিলন ও হাবিবুরকে গ্রেপ্তার করা হলেও লতিফুল পলাতক রয়েছেন। তাকেও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গ্রেপ্তার দুজনকে আদালতে পাঠানো হয়। আদালত আসামিদের জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।
ভারত,রংপুর জেলা,রংপুর বিভাগ,প্রেম,মিঠাপুকুর
ভারতীয় কিশোরী প্রীতি পণ্ডিতের (১৭) সঙ্গে তাঁর প্রেমিক মিলন (২৪)।
national
https://www.bhorerkagoj.com/2022/01/27/%e0%a6%a6%e0%a6%95%e0%a7%8d%e0%a6%b7-%e0%a6%9c%e0%a6%a8%e0%a6%ac%e0%a6%b2%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%85%e0%a6%ad%e0%a6%be%e0%a6%ac%e0%a7%87-%e0%a6%8f%e0%a6%a8%e0%a6%86%e0%a6%87%e0%a6%a1%e0%a6%bf/
দক্ষ জনবলের অভাবে এনআইডিতে ভুল হচ্ছে: সংসদে আইনমন্ত্রী
প্রয়োজনীয় সংখ্যক দক্ষ টেকনিক্যাল জনবল না থাকায় এবং সময় স্বল্পতার কারণে দ্রুত কাজ সম্পন্ন করতে গিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্রে (এনআইডি) প্রাথমিক পর্যায়ে কিছু ভুল-ভ্রান্তি রয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী আনিসুল হক। বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) সংসদের প্রশ্নোত্তর পর্বে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারীর প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ তথ্য জানান। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে এ প্রশ্ন উত্থাপিত হয়। আইনমন্ত্রী বলেন, ২০০৭-০৮ সালে নির্বাচন কমিশনের তত্ত্বাবধানে এবং সশস্ত্র বাহিনী, স্থানীয় প্রশাসন এবং জনপ্রতিনিধিদের সার্বিক সহযোগিতায় নাগরিকদের বায়োমেট্রিক্স সংগ্রহ করে জাতীয়ভাবে ভোটার ডাটাবেইজ গড়ে তোলা হয়। বিভিন্ন পর্যায়ে জাতীয় তথ্য ভাণ্ডারে পরিলক্ষিত ভুলগুলোর বিষয়ে আইন ও বিধি অনুসারে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক সংশোধনের সুযোগ প্রদান করা হলেও বিভিন্ন কারণে অনেকেই যথাসময়ে ওই সুযোগ গ্রহণ করেননি। বর্তমানে জাতীয় পরিচয়পত্র প্রস্তুতের ক্ষেত্রে দেশের নাগরিকরা সচেতন হওয়ায় ভুলের পরিমাণ তুলনামূলক কম। ২০১২ সাল হতে এখন পর্যন্ত জাতীয় পরিচয়পত্র প্রস্তুতের সকল ক্ষেত্রে ভোটারের নিবন্ধন ফরম কেন্দ্রীয় তথ্য ভাণ্ডারে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। এতে দেখা গেছে, এনআইডি সঠিকভাবেই মুদ্রিত হয়েছে। অপরদিকে সংশোধনের জন্য প্রাপ্ত আবেদনের অধিকাংশই সংশোধনের চাহিদা অনুযায়ী যুক্তিসংগত নয়। এসব আবেদন নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে যথাযথ প্রমাণপত্র দলিলাদি দাখিলসহ ক্ষেত্রবিশেষে তদন্ত বা পুনঃতদন্তের প্রয়োজন পড়ে। এ সকল আবেদন নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে কিছুটা বেশি সময় লাগে। মাঠপর্যায়ের বিভিন্ন স্তরের নির্বাচন কর্মকর্তাদেরকে এ সেবার সঙ্গে সম্পৃক্ত করে একটি অত্যাধুনিক অনলাইন কার্ড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম চালু করা হয়েছে (....)। পাশাপাশি অফলাইন ব্যবস্থাও চালু রয়েছে উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী বলেন, অনলাইন ব্যবস্থা চালুকরণের ফলে আবেদনকারী ঘরে বসেই তার এনআইডি কার্ড সংশোধনের আবেদন করতে সক্ষম হচ্ছেন এবং আবেদন কোন পর্যায়ে রয়েছে সেটিও ট্র্যাকিং করতে পারছেন। এনআইডি সংশোধনের আবেদন যথাযথ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুমোদিত হওয়ার পর সংশোধিত কার্ডটি অনলাইনে ডাউনলোড করার মাধ্যমে প্রিন্ট করতে সক্ষম হচ্ছেন। আবেদনকারী সশরীরে সংশ্লিষ্ট উপজেলা বা থানা নির্বাচন অফিসে গেলেও আবেদন গ্রহণ করা হয়ে থাকে। দ্রুত আবেদন নিষ্পত্তির জন্য জাতীয় পরিচয়পত্র সেবাকে কেন্দ্রীয় পর্যায়ে সীমিত না রেখে বিকেন্দ্রীকরণ করা হয়েছে। এনআইডি উইং এর কর্মকর্তাদের পাশাপাশি মাঠপর্যায়ের নির্বাচন অফিসগুলোর বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তাদেরকেও আবেদনের ধরণ অনুসারে আবেদন নিষ্পত্তিকারী কর্মকর্তা হিসাবে দায়িত্ব অর্পণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, এনআইডি ডাটাবেইজ আপগ্রেডেশন করায় নিরবচ্ছিন্ন সেবা প্রদান সম্ভব হচ্ছে। এনআইডি সেবা সুচারুরূপে সম্পাদনের জন্য মাঠপর্যায়ে থানা বা উপজেলা নির্বাচন অফিসে সহকারী নির্বাচন অফিসারসহ রাজস্ব খাতে একজন ডাটা এন্ট্রি অপারেটর পদ সৃষ্টি করা হয়েছে।
অভাব,আইনমন্ত্রী,এনআইডি,দক্ষ জনবল,ভুল,সংসদ
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। ।
national
https://www.ajkerpatrika.com/134724/%E0%A6%AD%E0%A7%82%E0%A6%AE%E0%A6%A7%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%97%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A7%E0%A6%BF-%E0%A6%B9%E0%A7%9F%E0%A7%87%E0%A6%9B%E0%A7%87-%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%8F%E0%A6%A8%E0%A6%AA%E0%A6%BF
ভূমধ্যসাগরে কাদের সলিলসমাধি হয়েছে জানতে চায় বিএনপি
বাংলাদেশে গুম-খুন বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যকে শুধু 'হাস্যকর' নয়, 'অত্যন্ত দুঃখজনক' বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গুম হয়ে যাওয়াদের অনেকের ভূমধ্যসাগরে সলিলসমাধি হয়েছে, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এই দাবির বিপরীতে জিজ্ঞাসা রেখেছেন বিএনপি মহাসচিব।আজ সোমবার রাজধানীর পান্থপথের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল আজিজকে দেখতে যান মির্জা ফখরুল। সেখানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।বিএনপির মহাসচিব বলেন, 'যাদের সন্তান গেছে, স্বামী গেছে, যাদের পরিজন গেছে, সবাই জানে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাঁদের তুলে নিয়ে গেছে। এই সরকার এখন পর্যন্ত সেই জবাব দেয়নি। পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করতে চাই, ভূমধ্যসাগরে যাদের সলিলসমাধি হয়েছে, তাঁদের নামগুলো প্রকাশ করুন। যারা গুম হয়ে গেছে, তাঁদের মধ্যে কারা কারা গেছে? আমরা মনে করব যে, আপনারা জানেন, কাদের আপনারা সলিলসমাধি করেছেন। আমি জিনিসটা জানতে চাই।'মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে বলতে গিয়ে মিয়ানমারের সামরিক জান্তার সঙ্গে বাংলাদেশের সরকারের কোনো পার্থক্য নেই বলেও মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, বাংলাদেশের সরকারের যে চরিত্র, মিয়ানমারের সরকারেরও একই চরিত্র। ওরা মিলিটারি জান্তা। মিলিটারি জান্তার সঙ্গে এদের কোনো পার্থক্য নেই। এরা জনগণকে বন্দুকের নল দিয়ে দমিয়ে রাখছে, মানুষের আশা-আকাঙ্খাগুলোকে তাঁরা ধ্বংস করে দিচ্ছে।'মির্জা ফখরুল বলেন, 'বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টা এখন গোটা বিশ্বে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। কারণ এরই মধ্যে মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য দেশের কয়েকজন কর্মকর্তাকে, আইন শৃঙ্খলা সংস্থার কয়েকজন কর্মকর্তাকে, র্যাবের কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে। এ রকম নিষেধাজ্ঞা তখনই আসে, যখন একটা দেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়, জনগণকে নির্যাতন করা হয় এবং জোর করে ক্ষমতায় টিকে থাকার চেষ্টা করে সরকার।'এ সময় গুরুদাসপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল আজিজকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, আজিজের ওপর গুরুতর হামলা করা হয়েছে। তাঁর পঙ্গু হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। হত্যার উদ্দেশ্যে তাঁর ওপর হামলা করা হয়েছে।স্থানীয় সংসদ সদস্যের প্রশ্রয়ে এই হামলা করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।গতকাল রোববার নয়াপল্টনে পুলিশের সঙ্গে ছাত্রদলের সংঘর্ষের ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে ফখরুল বলেন, 'রাজনৈতিক দলগুলোর ওপরে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ অনেকটা বেড়েছে। ভয়ভীতি ত্রাস সৃষ্টি করে সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়। দেশের জনগণ কখনই এ ধরনের নিপীড়ন-নির্যাতন সহ্য করেনি। গণতন্ত্রকে হত্যা করাও কখনো মানুষ মেনে নেয়নি। জনগণ সংগ্রামের মধ্য দিয়েই তাদের অধিকারকে ফিরিয়ে আনবে।'
বিএনপি,সরকার,পররাষ্ট্রমন্ত্রী,স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী,ভূমধ্যসাগর,গুম
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
politics
https://samakal.com/bangladesh/article/1603201033/জাতীয়-শিল্পনীতির-খসড়া-অনুমোদন
জাতীয় শিল্পনীতির খসড়া অনুমোদন
দেশে দ্রুত শিল্পায়ন ও বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে 'জাতীয় শিল্পনীতি ২০১৬'-এর খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার সকালে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদের নিয়মিত বৈঠকে এই অনুমোদন দেয়া হয়। খবর বাসসের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে মন্ত্রিপরিষদ সচিব শফিউল আলম বলেন, 'বিদ্যমান জাতীয় শিল্পনীতি ২০১০-এর আধুনিকীকরণ ও এর ধরাবাহিকতা বজায় রেখে এই প্রস্তাবিত নীতি প্রণয়ন করা হচ্ছে।' তিনি আরও বলেন, "বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা তহবিল (সংশোধনী) আইন ২০১৬'ও নীতিগতভাবে অনুমোদন দেয়া হয়েছে।" শফিউল আলম বলেন, "এদিন মন্ত্রিসভায় 'সেনানিবাস আইন, ২০১৬'-এর খসড়া উপস্থাপন করা হয়েছে।" এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, 'কিছু সংযোজন ও বিয়োজনসহ 'দ্য ক্যান্টনম্যান্ট অ্যাক্ট ১৯২৪-অনুবাদ করে তা মন্ত্রিসভায় পেশ করা হলেও আইনটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে আবারও উপস্থাপন করতে বলা হয়েছে।' এছাড়া বৈঠকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়েয় প্রতিমন্ত্রীর নেতৃত্বে গত ২২-২৫ ফেব্রুয়ারি স্পেনের বার্সোলোনায় মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেসে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের অংশগ্রহণেরও প্রশংসা করা হয় বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
শিল্পনীতি,মন্ত্রিসভা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার সকালে মন্ত্রিপরিষদের নিয়মিত বৈঠক হয়-ফোকাস বাংলা
national
https://www.prothomalo.com/business/analysis/এই-যুদ্ধ-পরিস্থিতি-পরিবর্তনের-দুয়ার-খুলে-দিয়েছে
এই যুদ্ধ পরিস্থিতি পরিবর্তনের দুয়ার খুলে দিয়েছে
বিশ্বে সময়ে সময়ে কিছু মৌলিক পরিবর্তন ঘটে থাকে। বিশেষ করে যুদ্ধের সময়ই পরিবর্তন দেখা যায়। তবে এবারের যুদ্ধে শত্রু পক্ষ কোনো বিদেশি শক্তি নয়। এবারকার শত্রু হলো একটি ভাইরাস, যেটির নাম কোভিড- ১৯ বা করোনাভাইরাস। মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়া এই ভাইরাস বিশ্বব্যাপী এক যুদ্ধকালীন পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। এর ফলে বিশ্বে হঠাৎ পরিবর্তনের সম্ভাবনা জেগে উঠেছে বলে মনে হয়। করোনা মহামারির কারণে যে যুদ্ধের মতো পরিস্থিতির উদ্ভব ঘটেছে, তাতে বড় দুর্ভোগের আশঙ্কা যেমন তৈরি হয়েছে, তেমনি বীরত্বগাথা লেখার সম্ভাবনাও রয়েছে এই সময়ে। যুদ্ধ কেবল কোনো একটি দেশের জনগণকেই ঐক্যবদ্ধ করে তা নয়, বরং সবাই করোনাভাইরাসের মতো অভিন্ন একধরনের শত্রুকে মুখোমুখি হওয়ায় বিভিন্ন দেশ ঐক্যবদ্ধ হয়ে যায়। এমন সময়ে যাঁরা উন্নত দেশগুলোতে বাস করেন, তাঁরা দরিদ্র দেশগুলোর জনগণের দুর্ভোগের প্রতি সহানুভূতিশীল হয়ে ওঠেন। কারণ, তাঁরা যে সমস্যার মুখোমুখি, সেটিও তো একই ধরনের। সুতরাং করোনা মহামারি আমাদের যে ঐক্যবদ্ধ করে তুলছে, তা বলাই যায়। হঠাৎ করে আমাদের পৃথিবীটা যেন ছোট হয়ে আসছে এবং অধিকতর ঘনিষ্ঠ সম্পর্কময় হয়ে উঠছে। বর্তমান বিশ্বকে নিয়ে আশাবাদী হওয়ার মতো যথেষ্ট কারণ রয়েছে। কেননা করোনা মহামারি আমাদের সামনে নতুন উপায় খুঁজে বের করার সুযোগ এনে দিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোও এখন দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। তবে আশা করা যায়, তারা কার্যকর পদক্ষেপ নেবে, যা সমাজে বিদ্যমান বৃহত্তর বৈষম্যের প্রবণতা কমাবে। দেশে দেশে মানে অনেক দেশের সরকার জরুরি ভিত্তিতে সাধারণ জনগণের হাতে অর্থকড়ি পৌঁছে দিচ্ছে। আর এই অর্থ পৌঁছে দেওয়াটা যেন সর্বজনীনভাবে মানুষের মৌলিক আয়ের উপায় হয়ে উঠছে। যেমন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চালু করা অধিকতর উন্নত ধরনের সর্বজনীন স্বাস্থ্য বীমা নতুন আর্থিক প্রণোদনা বা চালিকা শক্তি হিসেবেই যেন আবির্ভূত হয়েছে। এভাবে আমরা সবাই চলতি বছরে নতুন ধরনের আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার প্রেরণা খুঁজে পাব। ফলে দেশগুলো মিলেমিশে ঝুঁকি মোকাবিলায় এগিয়ে আসবে। বদৌলতে বর্তমান বিশ্বে বিরাজমান এই যুদ্ধ পরিস্থিতি বিলীন হবে বা এর অবসান ঘটবে। আর নতুনভাবে গড়ে ওঠা প্রতিষ্ঠানগুলো তখন টিকে থাকবে। রবার্ট জে শিলার: অর্থনীতির অধ্যাপক, ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়, ২০১৩ সালে অর্থনীতিতে নোবেল বিজয়ী।
করোনা অর্থনীতি,বিশ্লেষণ,প্র বাণিজ্য
রবার্ট জে শিলার
economy
https://samakal.com/whole-country/article/19126551/সৌদিতে-নির্যাতিত-সেই-কিশোরীকে-ফেরাতে-ওসিকে-মন্ত্রীর-চিঠি
সৌদিতে নির্যাতিত সেই কিশোরীকে ফেরাতে ওসিকে মন্ত্রীর চিঠি
সৌদি আরবে নির্যাতিত সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরের সেই কিশোরীকে ফিরিয়ে আনতে চিঠি দিয়েছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। রোববার জগন্নাথপুর থানার ওসিকে তিনি এ চিঠি পাঠান। মঙ্গলবার জগন্নাথপুর থানার ওসি ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী জানান, সৌদি আরবে জগন্নাথপুরের এক কিশোরীকে আটকে নির্যাতনের সংবাদ গণমাধ্যমে প্রকাশ হওয়ার পর প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে ওই মেয়ের বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হয়। পরে রোববার ওই কিশোরীকে দেশে ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়ে চিঠি পাঠান পরিকল্পনামন্ত্রী। তিনি বলেন, তারা মেয়েটিকে ফিরিয়ে আনার কাজ শুরু করেছেন। যে দালালের মাধ্যমে ওই কিশোরী সৌদিতে গিয়েছিল, তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এর আগে জগন্নাথপুর এলাকার জগলু মিয়ার মেয়ে ফারহানা বেগমকে (১৫) সৌদি আরবে পাঠায় স্থানীয় দালাল লিলু মিয়া। ১৫ দিন আগে ফারহানা মোবাইলে তার মাকে জানায়, সে খুবই বিপদে আছে, তাকে যেন দালালের মাধ্যমে দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হয়। এ কথা বলে মেয়েটি কান্নায় ভেঙে পড়েন। এক পর্যায়ে ফোনের লাইন কেটে যায়। ঘটনার পর কিশোরীর মা রাজিয়া বেগম দালাল লিলু মিয়াকে জানালে সে ২৫ হাজার টাকা দাবি করে। পরে গত ৭ ডিসেম্বর জগন্নাথপুর থানায় লিলু মিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন ওই কিশোরীর মা।
জগন্নাথপুর,সৌদি আরবে নির্যাতিত,পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরের সেই কিশোরী
national
https://www.bhorerkagoj.com/2020/02/17/%e0%a6%85%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%be%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%9c%e0%a6%a8-%e0%a6%ab%e0%a6%bf%e0%a6%b2%e0%a7%8d%e0%a6%ae%e0%a6%ab%e0%a7%87%e0%a7%9f%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%85%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%be/
অ্যামাজন ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডসে বিজয়ী যারা
গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ভারতের গুয়াহাটিতে বসেছিল ৬৫তম অ্যামাজন ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডস ২০২০-এর জমকালো আসর। সেই আসরে ভিকি কৌশল, রণবীর সিং, আয়ুষ্মান খুরানা থেকে শুরু করে বিদ্যা বালান- কে হাজির ছিলেন না! এক নজরে দেখে নেয়া যাক কারা জিতলেন বলিউডের এই সবচেয়ে বড় পুরস্কারের সেরা শিরোপা- সেরা ছবি : গাল্লি বয়; 'গাল্লি বয়' সিনেমায় অভিনয়ের জন্য সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার পেয়েছেন আলিয়া ভাট সেরা পরিচালক : জোয়া আখতার (গাল্লি বয়) সেরা অভিনেতা : রণবীর সিং (গাল্লি বয়) সমালোচকদের বিচারে সেরা অভিনেতা : আয়ুষ্মান খুরানা (আর্টিক্যাল ১৫) সেরা অভিনেত্রী : আলিয়া ভাট (গাল্লি বয়) সমালোচকদের বিচারে সেরা অভিনেত্রী : ভূমি পেডনেকার এবং তাপসী পান্নু (সান্ড কি আঁখ) পার্শ্ব চরিত্রে সেরা অভিনেতা : সিদ্ধান্ত চতুর্বেদী সেরা মিউজিক অ্যালবম : 'গাল্লি বয়' এবং 'কবীর সিং' সেরা গীতিকার : ডিভাইন এবং আঙ্কুর তিওয়ারি (আপনা টাইম আয়ে গা) সেরা প্লেব্যাক সিঙ্গার (পুরুষ) : অরিজিত সিং (কলঙ্ক নাহি- কলঙ্ক) সেরা প্লেব্যাক সিঙ্গার (মহিলা) : শিল্পা রাও (ঘুংরো- ওয়ার) বেস্ট ডেবিউ ডিরেক্টর : আদিত্য ধর (উরি : দ্য সার্জিক্যাল স্ট্রাইক) বেস্ট ডেবিউ অভিনেতা : অভিমন্যু দাসানি (মার্দ কো দার্দ নেহি হোতা) বেস্ট ডেবিউ অভিনেত্রী : অনন্যা পান্ডে (স্টুডেন্ট অফ দ্য ইয়ার টু) সেরা অরিজিনাল স্টোরি অ্যাওয়ার্ড : অনুভব সিংহ এবং গৌরভ (আর্টিক্যাল ১৫) সেরা চিত্রনাট্য পুরস্কার : রীমা কাগতি এবং জোয়া আখতার (গাল্লি বয়) সেরা সংলাপ : বিজয় ময়ূরা (গাল্লি বয়) লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড : চিত্রনির্মাতা রমেশ সিপ্পি চলচ্চিত্রে উৎকর্ষতা : গোবিন্দা সেরা সংলাপ : গাল্লি বয় (বিজয় মৌর্য) আরডি বর্মন উদীয়মান সঙ্গীত প্রতিভা পুরস্কার : সুশান্ত সছদেভ (উরি : দ্য সার্জিক্যাল স্ট্রাইক)
null
আলিয়া ভাট।
entertainment
https://www.bhorerkagoj.com/2021/08/23/%e0%a6%86%e0%a6%b2%e0%a7%8b%e0%a6%9a%e0%a6%bf%e0%a6%a4-%e0%a6%9c%e0%a7%81%e0%a6%b2%e0%a6%b9%e0%a6%be%e0%a6%9c-%e0%a6%a4%e0%a6%a8%e0%a7%9f-%e0%a6%b9%e0%a6%a4%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%be-%e0%a6%ae/
আলোচিত জুলহাজ-তনয় হত্যা মামলার রায় ৩১ আগস্ট
বাংলাদেশে নিযুক্ত প্রাক্তন মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্লিউ মজিনার প্রটোকল কর্মকর্তা জুলহাজ মান্নান ও তার বন্ধু মাহবুব তনয় হত্যার আলোচিত মামলার রায় ঘোষণার জন্য ৩১ আগস্ট দিন ধার্য করেছেন আদালত। সোমবার (২৩ আগস্ট) রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমান মামলার রায় ঘোষণার জন্য এ দিন ধার্য করেন। এর আগে গত রবিবার আদালতে এ মামলার প্রধান আসামি চাকরিচ্যুত মেজর সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল হক ওরফে জিয়াসহ আট আসামির মৃত্যুদণ্ড দাবি করেন রাষ্ট্রপক্ষ। একই আদালতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপনকালে এ দাবি জানান রাষ্ট্রপক্ষের প্রসিকিউটর গোলাম ছারোয়ার খান। রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে এর বিরোধিতা করে যুক্তি উপস্থাপন করেন আসামিপক্ষের আইনজীবী নজরুল ইসলাম। তবে আসামিপক্ষের আইনজীবীদের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ না হওয়ায় আজ সোমবার অবশিষ্ট যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের দিন ধার্য করেছিলেন বিচারক। আলোচিত এ হত্যা মামলার বাকি আসামিরা হলেন- আকরাম হোসেন, সাব্বিরুল হক চৌধুরী, মওলানা জুনায়েদ আহম্মেদ, মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন, আরাফাত রহমান, শেখ আব্দুল্লাহ ও আসাদুল্লাহ। তবে এদের মধ্যে চারজন পলাতক এবং চারজন কারাগারে আছে। ২০১৬ সালের ২৫ এপ্রিল রাজধানীর কলাবাগানের লেক সার্কাস রোডের বাড়িতে ঢুকে জুলহাজ মান্নান ও মাহবুব তনয়কে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় কলাবাগান থানায় জুলহাজের বড় ভাই মিনহাজ মান্নান ইমন একটি হত্যা মামলা এবং সংশ্লিষ্ট থানার এসআই মোহাম্মদ শামীম অস্ত্র আইনে আরেকটি মামলা দায়ের করেন। পরে ২০১৯ সালের ১২ মে জিয়াসহ আটজনের বিরুদ্ধে এ মামলায় চার্জশিট দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের পরিদর্শক মুহম্মদ মনিরুল ইসলাম।
জুলহাস,তনয়,মামলা,হত্যা
জুলহাস-তনয়।
national
https://www.bd-pratidin.com/national/2021/04/12/638413
করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে তিন স্তরে স্মার্ট লকডাউন জরুরি: ড. হোসেন জিল্লুর রহমান
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এবং ভয়াবহতা ঠেকাতে সারাদেশে তিন স্তরে স্মার্ট লকডাউন দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা, পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন সেন্টারের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. হোসেন জিল্লুর রহমান। তিনি বলেছেন, ঢাকা শহরের জন্য পৃথক বিধি-নিষেধ এবং চট্টগ্রামসহ যেসব এলাকা সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকি সম্পন্ন সেগুলোর জন্য পৃথক বিধি-নিষেধ আরোপ করতে হবে। এছাড়া উপজেলা ও গ্রামাঞ্চলের জন্যও পৃথক বিধি-নিষেধ আরোপ করতে হবে। কেননা উপজেলা শহর ও গ্রামাঞ্চলে এখনো এই ভাইরাসের বিস্তার ব্যাপকতা কম রয়েছে। এসব এলাকায় ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়লে দেশের পরিস্থিতি সামলানো যাবে না কোনভাবেই। বিডি প্রতিদিন/আল আমীন
null
ড. হোসেন জিল্লুর রহমান
national
https://www.ajkerpatrika.com/30779/%E0%A6%A6%E0%A7%81%E0%A6%A7%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%AA-%E0%A6%96%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B0
দুধের বিকল্প খাবার
সয়া দুধযাঁদের ল্যাকটোজ ইনটলারেন্স রয়েছে, তাঁরা গরুর দুধের বিকল্প হিসেবে সয়া দুধ বেছে নিতে পারেন। বাজারে যেসব সয়া দুধ কিনতে পাওয়া যায়, সেগুলোয় প্রতি গ্লাসে ৫০০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম থাকে। বাড়ির শিশুদের যদি দুধে অ্যালার্জি থাকে, তাহলে তারাও সয়া দুধ খেতে পারবে।অন্যান্য দুধডেইরি ফ্রি দুধে সাধারণত প্রাকৃতিক ক্যালসিয়াম থাকে না। তবে এগুলোয় প্রচুর ভিটামিন ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে। যেমন, আমন্ড দুধে রয়েছে ম্যাগনেশিয়াম ও ভিটামিন ই। অন্যদিকে ভাতের মাড়ও দুধের বিকল্প হিসেবে খাওয়া যেতে পারে। এতে কোনো সম্পৃক্ত চর্বি নেই, রয়েছে পর্যাপ্ত ভিটামিন বি১২। নারকেলের দুধ সুস্বাদু এবং রান্না ও ডেজার্ট তৈরিতে ব্যবহৃত হলেও এতে সম্পৃক্ত চর্বি রয়েছে। এসব ছাড়াও ভেষজ দুধের মধ্যে রয়েছে ওটস ও কাজুবাদাম থেকে তৈরি করা দুধ। এগুলো আলাদা করে খাওয়া ছাড়াও রান্নায় ব্যবহৃত হয় এখন। কম ল্যাকটোজের টকদই যাঁদের ল্যাকটোজ ইনটলারেন্স রয়েছে, তাঁরা পরিমিত ল্যাকটোজের টকদই খেতে পারেন। টকদই খেলে পেট ফাঁপে না। টকদইয়ের মধ্যকার উপকারী ব্যাকটেরিয়া অধিকাংশ ল্যাকটোজ ভেঙে ফেলে। ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবারে মনোযোগী হোনবয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের শরীরে ক্যালসিয়ামের চাহিদাও বাড়তে থাকে। বয়স ৫০-এর পর দৈনিক ১ হাজার ২০০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম গ্রহণ করা জরুরি। সে ক্ষেত্রে যদি ল্যাকটোজ ইনটলারেন্স থাকে, তবে খাদ্যতালিকায় রাখতে হবে ছোট মাছ, সামুদ্রিক মাছ ও ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ সবজি।
জীবনধারা,আজকের জীবন
পেকজেলস
life-health
https://www.ajkerpatrika.com/96381/%E0%A6%95%E0%A7%83%E0%A6%B7%E0%A6%BF%E0%A6%9C%E0%A6%AE%E0%A6%BF-%E0%A6%AC%E0%A6%B8%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%87%E0%A6%9F%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%9F%E0%A6%BE
কৃষিজমি, বসতিতে ইটভাটা
দুর্গাপুর পৌরসদরসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় তিন ফসলি জমি, স্কুল ও কলেজের সঙ্গে লাগোয়া ও জনবসতিপূর্ণ এলাকায় রয়েছে ডজনখানেক ইটভাটা। সেসব ভাটা এখন চালুর প্রস্তুতি চলছে জোরেশোরে। ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সেগুলো সচল হবে বলে জানা গেছে।ইটভাটা চালু হলে ধোঁয়ায় স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়বেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বিশেষ করে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ এলাকার শিশু-কিশোরেরা। এ ছাড়া ইটভাটার কালো ধোঁয়ায় বছরের পর বছর ধরে সবজিখেতসহ আম-কাঁঠালে ক্ষতির সম্মুখীন হন এলাকার কৃষকেরা।দুর্গাপুর পৌরসদর শালঘরিয়া ও দেবীপুর গ্রামে দুটি ইটভাটা রয়েছে। দুটি ভাটাই তিন ফসলি জমি ও জনবসতিপূর্ণ এলাকায়। উপজেলার চক জয়নগরে ১টি, গগণবাড়িয়ায় ১টি, কালুপাড়ায় ২টি, পানানগর শেখ পাড়ায় ১টি, কিশোরপুরে ১টি, দাওকান্দিতে ২টিসহ প্রায় এক ডজন ইটভাটা রয়েছে। প্রত্যেকটি ভাটাই তিন ফসলি কৃষি জমিতে।দুর্গাপুর পৌর এলাকার দেবীপুর গ্রামের আব্দুর রহিম বলেন, এক কিলোমিটারের মধ্যে দুটি ইটভাটা। সেগুলো কৃষিজমি ও জনবসতিপূর্ণ এলাকায়। এতে প্রতিবছর কৃষিনির্ভর এই এলাকার কৃষকদের লাখ লাখ টাকার ক্ষতি হচ্ছে।উপজেলার কালুপাড়া গ্রামের আব্দুল মান্নান বলেন, কালুপাড়ায় আইন লঙ্ঘন করে একেবারে কৃষিজমিতে গড়ে তোলা হয়েছে ইটভাটা। প্রতিনিয়ত এসব ভাটায় বাইরে থেকে উর্বর কৃষিমাটি নিয়ে এসে পোড়ানো হয়। এসব মাটি আনা-নেওয়ায় সড়ক বেহাল হয়ে গেছে।এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ইটভাটা স্থাপনের নতুন আইন মানছেন না উপজেলার ভাটামালিকেরা। আগের পুরোনো অবকাঠামোতেই ইটভাটার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। কয়লাসংকট ও দাম বেশি পড়ায় ভাটায় কাঠ ও খেজুরগাছ পোড়ানো হয় বলেও অভিযোগ রয়েছে।ইটভাটা-সংক্রান্ত নতুন আইনে বলা হয়েছে, জনবসতিপূর্ণ আবাসিক এলাকা, কৃষিজমি, বাজার, স্কুল ও কলেজ এলাকায় ভাটা স্থাপন করা যাবে না। আধুনিক পদ্ধতিতে ধোঁয়াবিহীনভাবে ইট পোড়াতে হবে। কৃষিজমি থেকে কোনো মাটি আনা যাবে না।নাম না প্রকাশের শর্তে এক ইটভাটার মালিক বলেন, পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্রের মেয়াদ শেষ হয়েছে অনেক আগেই। ছাড়পত্রের জন্য আবেদন করলেও এখনো পাওয়া যায়নি। কৃষিজমি ছাড়া এলাকায় কোথাও কোনো ফাঁকা জায়গা নেই। তাই বাধ্য হয়ে কৃষিজমিতে ইটভাটা গড়তে হয়েছে তাঁকে। এসব ভাটায় শুকনো মৌসুমে বিভিন্ন পুকুর থেকে মাটি সংগ্রহ করে রাখা হয়। সেগুলো দিয়ে পুরো মৌসুমে ইট পোড়ানো হয়। ফলে মাটির কোনো সংকট হয় না। ডিসেম্বরের মাঝামাঝি প্রায় সব ইটভাটায় আগুন দেওয়া হবে।জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সোহেল রানা বলেন, ইটভাটার অনুমোদন আছে কী না তা খতিয়ে দেখা হবে। ভাটামালিকেরা জেলা প্রশাসক ও পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নিয়ে থাকেন। তবে আইন লঙ্ঘন করে কয়লার পরিবর্তে কাঠ পোড়ানো যাবে না। কোথাও যদি কাঠ ও খড়ি পোড়ানোর অভিযোগ পাওয়া যায়, তাহলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রাজশাহী বিভাগ,কৃষি,জমি,ইটভাটা,রাজশাহী,ছাপা সংস্করণ,রাজশাহী সংস্করণ,আজকের রাজশাহী
দুর্গাপুর উপজেলায় ফসলি জমিতে গড়ে ওঠা এক ডজনের বেশি ইটভাটা চালুর প্রস্তুতি চলছে জোরেশোরে। গত শুক্রবার বিকেলে উপজেলার পৌর এলাকার শালঘরিয়া থেকে ।
national
https://www.bd-pratidin.com/international-news/2018/03/24/316636
আরাফাতকে হত্যায় অভিজাত বাহিনী গড়েছিল ইসরাইল
ফিলিস্তিনের জনপ্রিয় নেতা ইয়াসির আরাফাতকে হত্যার জন্য নান কৌশল নিয়েছিল ইসরাইল। এর মধ্যে অন্যতম ছিল সল্ট ফিশ কোডনামের একটি অভিজাত কমান্ডো ইউনিট। সেক্ষেত্রে এক ইহুদি সাংবাদিককে লক্ষ্যবস্তু বানাতে চেয়েছিল ইসরাইল। উরি আভনেরি নামে ওই সাংবাদিক প্রথম ইসরাইলি হিসেবে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতা আন্দোলনের নেতা ইয়াসির আরাফাতের সঙ্গে দেখা করেন।নিজের দেশ যাকে সবচেয়ে বড় শত্রু বলে মনে করে, তার সঙ্গে যেভাবে দেখা হয়েছিল তা স্মরণ করেন আভনেরি বলেন, একটু বিপজ্জনক ছিল। একটি সাঁজোয়া মার্সিডিজ গাড়ি তাকে তুলে নেয়, আর এরপর একেবারে আকাবাঁকা পথ বেয়ে দক্ষিণ বৈরুতে একটি পিএলও ভবনে শেষ পর্যন্ত পৌঁছেও যায়। তিন দশক পরে এই গল্পের আরও অনেক কিছু এখন বেরিয়ে আসছে - অভিযোগ উঠেছে যে ইসরাইলি কমান্ডোরা পিএলও নেতার সঙ্গে তাদের দেশি মানুষটির বৈঠকটি অনুসরণ করার চেষ্টা করছিলো। এমনকি তাদের প্রস্তুতিও ছিল এটিকে লক্ষ্যবস্তু বানানোর। সম্প্রতি প্রকাশিত একটি বইয়ে ইসরাইলি সাংবাদিক রনেন বার্গম্যান পিএলও প্রধানকে হত্যার অনেকগুলো কথিত চেষ্টার কথা লিখেছেন। বইটিতে ইসরাইল কর্তৃক সুনির্দিষ্ট হত্যাকাণ্ড ঘটানোর বিবরণ রয়েছে। বার্গম্যান ঘটনা জানতেন এমন অনেক মানুষের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন। তবে এটা বিতর্কও উসকে দিয়েছে, কারণ পুরো বিষয়টি ইসরাইলে মোটামুটি গোপনীয় হিসেবে চিহ্নিত। তিনি বলছেন, তার গবেষণার সময় একজন সেনাপ্রধান তাকে উত্ত্যক্তকারী গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে অভিযুক্ত করেন। বার্গম্যান লিখেছেন, ১৯৮২ সালে যখন বৈরুত অবরোধ করা হয়, তখন সল্ট ফিশ কোডনামের একটি অভিজাত কমান্ডো ইউনিট প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল - উদ্দেশ্য ইয়াসির আরাফাতকে হত্যা করা। তিনি দাবি করছেন যে পিএলও নেতার সঙ্গে উরি আভনেরির বৈঠকের সুযোগ নিতে চেয়েছিল এই ইউনিট। তারা চেয়েছিল ওই সাংবাদিক ও তার দুই সহকর্মী অজান্তেই তাদেরকে ইয়াসির আরাফাতের সন্ধান দিক। বার্গম্যান লিখেছেন, সল্ট ফিশ টিমের মধ্যে এমন একটি তর্ক বেধে যায় যে ইসরাইলি নাগরিকদের বিপদে ফেলা - যার পরিণতি সম্ভবত মৃত্যু - কতটা সঠিক? উত্তর ছিল - তাদের সিদ্ধান্ত মতে - হ্যা সঠিক। তবে তার দাবি হলো, সল্ট ফিশের সদস্যরা শেষ পর্যন্ত বৈরুতের অলিগলিতে সাংবাদিকদের হারিয়ে ফেলেন। উরি আভনেরি এখনও ইয়াসির আরাফাতের সঙ্গে তার আলোচনার সবকিছু স্মরণ করতে পারেন, কারণ তিনি প্রতিটি শব্দ প্রকাশ করেছিলেন।তার বয়স এখন ৯৪। তেল আবিবে নিজের অ্যাপার্টমেন্ট তিনি বিবিসির টম বেটম্যানের সঙ্গে কথা বলেন। অভিযোগ উঠেছে যে ইয়াসির আরাফাতের সঙ্গে ওই বৈঠক এমন কি হয়েছে, যা তার প্রাণ সংহারের কারণও হতে পারতো? আভনেরি বলেন, আমার অবশ্য এ ব্যাপারে খানিকটা সন্দেহ আছে। তার ব্যাখ্যা, তিনি বৈঠকটি হওয়ার ২৪ ঘণ্টারও কম সময় আগে ফোন করে এটির আয়োজন করেছিলেন। আভনেরি বলেন, কিন্তু ... তারা যদি খুব দক্ষ হতো, তাহলে তারা ফোনে আমাদের কথা শুনতে পারতো, এরপর যেখানে আমি সীমানা পেরিয়েছি, সেখান থেকে তারা আমাদের গাড়ি অনুসরণ করতে পারতো। এটা সম্ভব ছিল। সল্ট ফিশ ইউনিটের প্রধান ছিলেন লেফটেনান্ট কর্নেল উজি দায়ান, যিনি এক সময় ইসরাইলি সেনাবাহিনীর উপ-প্রধান হয়েছিলেন। তিনি বিবিসির টম বেটম্যানকে বলেন যে তার টিম ৮ থেকে ১০টি চেষ্টা চালিয়েছিল ইয়াসির আরাফাতকে হত্যা করতে। বিডি প্রতিদিন/২৪ মার্চ ২০১৮/এনায়েত করিম
null
ফিলিস্তিনি স্বাধীনতা আন্দোলনের নেতা ইয়াসির আরাফাত
international
https://www.dailynayadiganta.com/dhaka/345007/গাজীপুরে-আবাসিক-হোটেল-থেকে-১১৪-জন-গ্রেফতার
গাজীপুরে আবাসিক হোটেল থেকে ১১৪ জন গ্রেফতার
গাজীপুরে টঙ্গীর বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে অভিযান চালিয়ে তরুণী, যৌনকর্মী এবং খদ্দেরসহ ১১৪ জনকে আটক করা হয়েছে। শুক্রবার তাদেরকে আদালতে প্রেরণ করা হয়। গাজীপুরের বিশেষ শাখার ইন্সপেক্টর মমিনুল ইসলাম ও স্থানীয়রা জানান, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের টঙ্গী থানা এলাকার বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে দীর্ঘদিন ধরে অসামাজিক ও অশ্লীল কর্মকান্ড পরিচালনা হচ্ছিল। এমন অভিযোগ পেয়ে গাজীপুরে নবনিযুক্ত পুলিশ সুপার শামসুন্নাহারের তাৎক্ষণিক নির্দেশে পুলিশ বৃহষ্পতিবার দিবাগত রাতে ওই এলাকার কয়েকটি আবাসিক হোটেলে অভিযান চালায়। অভিযানকালে ওই হোটেল থেকে ৫২জন যৌনকর্মী, তরুণী এবং ৬২জন পুরুষ দালাল ও খদ্দেরসহ মোট ১১৪জনকে আটক করা হয়। অভিযানের টের পেয়ে হোটেলের অন্য কর্মচারীরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। এব্যাপারে টঙ্গী মডেল থানায় মামলা দায়েরের পর শুক্রবার গ্রেফতারকৃতদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। গাজীপুরে টঙ্গীর বিভিন্ন আবাসিক হোটেল থেকে তরুণী ও যৌনকর্মী এবং খদ্দেরসহ আটককৃতরা।
null
আবাসিক হোটেল থেকে আকটকৃত নারীদের একাংশ।
national
https://bangla.dhakatribune.com/bangladesh/2022/01/30/1643521480212
ময়মনসিংহ মেডিকেলের কোভিড ইউনিটে আরও ৫ জনের মৃত্যু
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালের কোভিড ইউনিটে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন আরও পাঁচ রোগী। তাদের মধ্যে দুইজন ছিলেন কোভিড পজিটিভ ও তিনজন উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসাধীন ছিলেন। মারা যাওয়া পাঁচজনের মধ্যে চারজনই ময়মনসিংহ জেলার এবং অন্যজন শেরপুরের বাসিন্দা। এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালের পিসিআর ল্যাব ও এন্টিজেন টেষ্টে একদিনে আরও ১৫৯ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। রবিবার (৩০ জানুয়ারি) সকালে মমেক হাসপাতালের কোভিড ইউনিটের মুখপাত্র ডা. মহিউদ্দিন খান মুন এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ইউনিটটিতে নতুন করে ২০ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। এ নিয়ে মমেকের কোভিড ইউনিটে চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭৩ জনে। এর মধ্যে কোভিড পজিটিভ রোগী ৩৭ জন। এছাড়াও বর্তমানে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছে চারজন। অন্যদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩১ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল,কোভিডে মৃত্যু
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
national
https://www.dailynayadiganta.com/cricket/337104/নভেম্বরে-টেস্ট-ভেন্যু-হিসেবে-অভিষেক-হবে-সিলেটের
নভেম্বরে টেস্ট ভেন্যু হিসেবে অভিষেক হবে সিলেটের
আগামী নভেম্বরে বাংলাদেশের অষ্টম টেস্ট ভেন্যু হিসেবে অভিষেক হবে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের। চলতি বছরের শেষে দুটি টেস্ট ও তিনটি ওয়ানডে খেলতে বাংলাদেশে আসবে জিম্বাবুয়ের। ওই সিরিজের প্রথম টেস্টটি হবে সিলেটে। ওই ম্যাচ দিয়ে সিলেট স্টেডিয়ামের টেস্ট অভিষেক হবে। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ের সিরিজের সূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। আগামী ১৬ অক্টোবর ঢাকায় আসবে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দল। ১৯ অক্টোবর সাভারের বিকেএসপিতে সীমিত ওভারের প্রস্তুতিমূলক ম্যাচ খেলবে জিম্বাবুয়ে। ২১ অক্টোবর থেকে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ শুরু করবে বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ে। মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে সিরিজের প্রথম ওয়ানডে। ২৪ ও ২৬ অক্টোবর চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে হবে ওয়ানডে সিরিজের শেষ দুই ওয়ানডে। ওয়ানডে শেষ করে সিলেটে উড়ে যাবে জিম্বাবুয়ে। সেখানে ৩ নভেম্বর থেকে শুরু হবে সিরিজের প্রথম টেস্ট। ১১ নভেম্বর থেকে মিরপুরে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট খেলবে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে।
null
ভেন্যু হিসেবে সিলেটের অভিষেক হবে আগামী ৩ নভেম্বর
sports
https://www.bd-pratidin.com/national/2021/11/26/715420
রাষ্ট্রপতি ক্ষমা করলে বিদেশ যেতে পারেন খালেদা জিয়া : হানিফ
আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, 'খালেদা জিয়া একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামি। সেই হিসেবে তিনি রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইতে পারেন। রাষ্ট্রপতি তাকে ক্ষমা করে দিলেই তো তিনি বিদেশে যেতে পারেন।' আজ শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে 'বিশ্ব সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ ও হলি আর্টিজান- মুম্বাই হামলা' শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি। এ সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ফোরাম (বোয়াফ)। হানিফ বলেন, 'বিএনপি নিজেই এ নিয়ে রাজনীতি ও স্ট্যান্ডবাজি করছে। খালেদা জিয়ার সুস্থতার চেয়ে তাদের কাছে রাজনীতি বড়। সেজন্য খালেদা জিয়ার চিকিৎসার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বাধা বিএনপিই।' তিনি বলেন, 'খালেদা জিয়া ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় হাওয়া ভবনে বসে রাষ্ট্রের ওপর জঙ্গি হামলার পরিকল্পনা করেছিলেন। গ্রেনেড হামলা চালিয়ে তারা ২৪ জনকে হত্যা করেছিল। ২০০৫ সালে ১৭ আগস্টে সিরিজ বোমা হামলা আমরা দেখেছি। সারাদেশে হামলা চালিয়ে দেশে জঙ্গিদের একটা শক্ত অবস্থান তারা জানান দিয়েছিল। আমরা দেখেছি, বাংলা ভাই প্রকাশ্যে তার এলাকায় মিছিল করেছিল। বিএনপি জোটের মদদেই এটা ঘটেছিল।' '১৯৭৫ সালে জাতির পিতাকে হত্যার মধ্য দিয়েই দেশে জঙ্গিবাদের উত্থান হয়েছিল। আমরা অসাম্প্রদায়িক চেতনা নিয়েই মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম। মহান স্বাধীনতার ওপর আঘাত মুক্তিযুদ্ধের পরেই আনা হয়। পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়েই এর চূড়ান্ত রূপ পাই। পরবর্তীতে যারা ক্ষমতায় আসে, সেই অপশক্তিকেই তারা মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার সাহস দিয়েছিল। জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে পাকিস্তানের দোসরদের গাড়িতে তারা বাংলাদেশের পতাকা তুলে দিয়েছিল।' 'জঙ্গিবাদ শুধু বাংলাদেশেই নয়, এটা বিশ্বব্যাপী। বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের ধারাবাহিকতা আমরা দেখেছি, হলি আর্টিজান হামলার মধ্য দিয়ে। ধর্মীয় উগ্রবাদ থেকেই তারা এটা ঘটিয়েছিল,'- বলেন তিনি। বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ
রাষ্ট্রপতি, খালেদা জিয়া, বিদেশ, হানিফ
মাহবুব উল আলম হানিফ।
national
https://www.bhorerkagoj.com/2021/08/12/%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%9c%e0%a6%b6%e0%a6%be%e0%a6%b9%e0%a7%80-%e0%a6%ae%e0%a7%87%e0%a6%a1%e0%a6%bf%e0%a6%95%e0%a7%87%e0%a6%b2%e0%a7%87-%e0%a6%95%e0%a6%b0%e0%a7%8b%e0%a6%a8%e0%a6%be%e0%a7%9f-33/
রাজশাহী মেডিকেলে করোনায় একদিনে সর্বনিম্ন ৯ জনের মৃত্যু
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে একদিনে সর্বনিম্ন মৃত্যু হয়েছে। একদিনের ব্যবধানে অর্ধেকে নেমে আসার পরদিনই মারা গেলেন সর্বনিম্ন ৯ জন। বুধবার (১১ আগস্ট) সকাল ৮ টা থেকে বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) সকাল ৮টা পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে মারা গেছেন এ ৯ জন। এর আগেরদিন মৃত্যু হয় ১০ জনের। আর তার আগেরদিন একদিনে সর্বোচ্চ ২১ জন মারা যান। রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার শামীম ইয়াজদানী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। হাসপাতাল সূত্র জানায়, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় মৃত ৯ জনের মধ্যে করোনা পজেটিভ ছিলেন ৫ জন এবং ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে উপসর্গে। আর একজন মারা গেছেন করোনা নেগেটিভ অবস্থায়। মৃতদের মধ্যে পাবনা ও নাটোরের দুইজন করে চারজন। আর রাজশাহীর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ, মেহেরপুর ও কুষ্টিয়া জেলার মারা গেছেন একজন করে পাঁচজন। এদের মধ্যে ৪ জন পুরুষ এবং ৫ জন মহিলা। সর্বশেষ পাওয়া তথ্যমতে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ও এর উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালটিতে ভর্তি হয়েছেন ৩৭ জন এবং সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৪৯ জন। রামেকের করোনা ইউনিটে বর্তমানে চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা ৩৪২। এদের মধ্যে ১৮০ জন করোনা পজেটিভ রোগী। হাসপাতালটির করোনা ইউনিটে বর্তমানে ৫১৩টি বেডে প্রস্তুত রাখা হয়েছে কোভিড রোগীদের চিকিৎসার জন্য।
null
রামেক হাসপাতাল
national
https://www.prothomalo.com/opinion/column/দলীয়-রাজনীতির-ওপর-লকডাউন-প্রয়োজন
দলীয় রাজনীতির ওপর 'লকডাউন' প্রয়োজন
মনটা বিষণ্ন ও ভারাক্রান্ত। দেশ-বিদেশ থেকে কেবল ফোন পাচ্ছি হাসপাতালে বেড, আইসিইউ ব্যবস্থা করার জন্য। প্রথমে অর্থনীতি বিভাগের বন্ধু ও সরকারি চাকরিতে ব্যাচমেটের জন্য। চেনাজানা হাসপাতালমালিক, ডাক্তারকে ফোন করি। সবারই একই কথা বেড, রুম, আইসিইউ কোনোটাই খালি নেই। সহকর্মীর মেয়ে অবশ্য একটা ব্যবস্থা করতে সমর্থ হয় তার বাবার জন্য। এরই মধ্যে কানাডা থেকে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে সাবেক সহকর্মীর ফোন। তঁার ভাই, বাবা ও পরিবারের অনেকেই করোনায় আক্রান্ত। অনুরোধ একই, হাসপাতালের ব্যবস্থা করা যায় কি না। এর মধ্যেই বুকে শেল হয়ে বিঁধল বাংলাদেশ ব্যাংকে আমার সাবেক সহকর্মী, সাবেক নির্বাহী পরিচালক চৌধুরী মহিদুল হক ওরফে বাবুর করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতাল থেকে হাসপাতালে ছুটে কোথাও কোনো স্থান না পেয়ে প্রায় বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর সংবাদ। তাঁর পরিবারের সদস্যরাও করোনায় আক্রান্ত, স্ত্রী হাসপাতালে। ভাবিকে নাকি স্বামীর মৃত্যুর সংবাদ এখনো দেওয়া হয়নি। চৌধুরী মহিদুল হক ছিলেন একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। আমাদের এই ব্যাচের পাঁচজন ডেপুটি গভর্নর হয়েছিলেন। চৌধুরী মহিদুল হকও ডেপুটি গভর্নর হওয়ার জন্য চেষ্টা করেছিলেন, পরীক্ষাও দিয়েছিলেন, কিন্তু উত্তীর্ণ হননি। এস কে সুরদের তখন ডেপুটি গভর্নর করা হয়, যাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সহায়তায় বাণিজ্যিক ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে লুটপাটের সুযোগ অবারিত হয়! স্পষ্ট বক্তা হিসেবে তাঁর কিছু বদনামও ছিল। বাংলাদেশ ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির বলি হন তিনি। কারেন্সি বিভাগের দায়িত্বে নিয়োজিত নির্বাহী পরিচালক হিসেবে বঙ্গবন্ধু সিরিজের নোট করার উদ্যোগ তিনি প্রথম নিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর ছবি দিয়ে নোটের সিরিজ করার ব্যাপারে তিনি টাঁকশালের এমডির সঙ্গে একান্তে মিটিং করে তৎকালীন গভর্নরের সঙ্গে দেখা করেন। চৌধুরী মহিদুল হকের নির্দেশনায় টাঁকশালে ডিজাইন, নোটের নকশা অর্থাৎ কোথায় কোন ছবি দিতে হবে, কীভাবে নকশা করতে হবে, তার কাজ শুরু হয়। তৎকালীন একজন ডেপুটি গভর্নরের নেতৃত্বে ডিজাইন অ্যাডভাইজারি কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটিতে দেশের প্রখ্যাত আর্টিস্টরা ছিলেন। সবশেষে প্রধানমন্ত্রীর সম্মতি নিয়ে ডিজাইন চূড়ান্ত করা হয়। চৌধুরী মহিদুল হক বঙ্গবন্ধু সিরিজ নোটের উদ্যোক্তা হলেও এই নোটগুলোর উদ্বোধনের দিন তাঁকে ডাকা হয়নি। এ জন্য তাঁর ক্ষোভ ছিল। বলা যায়, আওয়ামী লীগের অন্ধ সমর্থক ছিলেন মহিদুল। এ জন্য আমরা তাঁকে খ্যাপাতাম। মহিদুলের সাফ জবাব ছিল, 'তোমরা মাথা দিয়ে চিন্তা করো, যুক্তি, বুদ্ধি ইত্যাদি দিয়ে। আমি ভাবি আমার অন্তর দিয়ে, আমার আবেগ ও দেশাত্মবোধ দিয়ে।' স্পষ্টভাষিতার জন্য আমরা তাঁর সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করলেও তাঁকে শ্রদ্ধা করতাম। ইতিমধ্যে জেনেছি, রাষ্ট্রীয় সম্মান জানিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সংরক্ষিত স্থানে তাঁকে সমাহিত করা হয়েছে। কিন্তু এর আগে কি কিছু করা যেত না? সিএমএইচ, সরকারি হাসপাতালে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য কিছু আসন কি সংরক্ষণ করা যেত না? এ যেন সে গানের মতো, 'জীবনে যারে তুমি দাওনি মালা, মরণে কেন তারে দিতে এলে ফুল'। যাহোক, চৌধুরী মহিদুল হক এখন আমাদের এসব বিবেচনার ঊর্ধ্বে। আমরা কেবল তাঁর দুর্ভাগ্যের জন্য আক্ষেপই করতে পারি। এটা তাঁর প্রাপ্য ছিল না। চাকরিজীবনের বঞ্চনা মৃত্যুকালেও তাঁর অনুষঙ্গী হলো, এটাই আমাদের দুঃখ। তাঁকে আমাদের অভিবাদন জানাই ও তাঁর আত্মার মাগফিরাত কামনা করি। এদিকে করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে। আজ সকালে অনলাইন ক্লাসে এক ছাত্রী জানাল, তার করোনা টেস্ট পজিটিভ। এর আগে একজন ছাত্র তার বাবার আক্রান্ত হওয়ার সংবাদ দিয়েছে। ফেসবুকের পাতায় কদাচিৎ ঢুকলেও সেখানে কেবল আক্রান্ত হওয়ার আর মৃত্যুর মিছিল দীর্ঘতর হওয়ার দুঃসংবাদ। পরিস্থিতি মোকাবিলায় 'লকডাউনের' ঘোষণা এসেছে। কিছু মানুষ লকডাউনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করছেন, এমনকি অনেকে অমান্য করছেন। আবার বিভিন্ন সরকারি সিদ্ধান্তের স্ববিরোধিতার কথাও বলছেন কেউ কেউ। করোনার প্রাদুর্ভাবের পাশাপাশি রাজনীতিরও বাম্পার ফলন ঘটছে। বার্ষিকী, জয়ন্তী, উৎসব কিছুই বাদ যায়নি। শোনা যায়, এসব অনুষ্ঠানে সহস্রাধিক কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে। এসব অনুষ্ঠান কাটছাঁট করে তা করোনা মোকাবিলায় লাগানো যেত। এ ছাড়া মোদিবিরোধী মিছিল, প্রতিহতকারীদের মিছিল, সংঘর্ষ, সম্পত্তির ক্ষতি, গুলি, লাশ সবই পড়ছে। চলেছে একে অপরকে দোষারোপের অসুস্থ প্রতিযোগিতা। শেষ বাঁশি বাজার আগেই করোনার বিরুদ্ধে জয়ের ঘোষণা দেওয়া হচ্ছে। প্রচার করা হচ্ছে কাল্পনিক সাফল্যের। অথচ করোনার জন্মবার্ষিকী শেষ হয়েছে বেশ আগেই। সময় ছিল হাসপাতাল, চিকিৎসা সরঞ্জাম জোগাড় করার। বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবিলার প্রস্তুতি নেওয়ার। বিশেষজ্ঞরা বারবারই হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছেন, করোনা নিঃশেষ হয়ে যায়নি। দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ, পঞ্চম ঢেউ আসতে পারে। আমরা ব্যস্ত থেকেছি রাজনীতি, কূটনীতি এসব নিয়ে। শুধু রাজনৈতিক দল নয়, সবাই মেতে আছে রাজনীতি নিয়ে। মহাসমারোহে হয়ে গেল বিজিএমইএ নির্বাচন। অথচ এবারই প্রয়োজন ছিল সমঝোতা করে দুই প্রতিদ্বন্দ্বী গ্রুপের প্রার্থীদের নিয়ে কমিটি করার। তাতে যা খরচ ও সময় বাঁচত, তা দিয়ে হাসপাতালে বেশ কটি ভেন্টিলেটর সরবরাহ করা যেত, শ্রমিকদের আর্থিক সহায়তা দেওয়া যেত। কিন্তু বিজিএমইএ নির্বাচন এখন জাতীয় ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনের প্রস্তুতিক্ষেত্র! গত দুবার সেখান থেকে ঢাকা উত্তরের মেয়র এসেছেন। অথচ রাজনীতির লক্ষ্য হলো জনকল্যাণ। আগে ছাত্রাবস্থায় দেখেছি, দুর্যোগ এলেই ছাত্র, যুবক, রাজনৈতিক সংগঠন সবাই দুর্গতদের সাহায্যে নেমে পড়ত। এখন, ছাত্র, যুব ও দলীয় রাজনীতি টেন্ডার ও পারস্পরিক হানাহানিতে সীমিত হয়ে পড়েছে। সংসদ চলছে, পরদিনই সাংসদ মৃত্যুবরণ করছেন। ইসলামের হেফাজতকারীরা এখন পর্যটনকেন্দ্রে। করোনার সংক্রমণ কমাতে 'লকডাউন' দেওয়া হয়েছে ভালো কথা। কিন্তু যারা দিনে আয় দিনে খায়, তাদের পরিবারের কী হবে? তাদের সংসারের অন্য খরচই-বা কীভাবে চলবে? পরিস্থিতি যখন এমন গুরুতর, অসাধারণ ব্যবস্থা নিতে হবে। দলীয় রাজনীতির ওপর 'লকডাউন' দেওয়া জরুরি হয়ে পড়েছে কিছুদিনের জন্য। সংসদ, মিটিং, মিছিল, বিবৃতি সবকিছু বাদ দিয়ে আমাদের সর্বশক্তি নিয়োজিত হোক অতিমারি নিয়ন্ত্রণে-এটাই হোক আমাদের সব কাজের কেন্দ্রবিন্দু। আগে মানুষ বাঁচুক, তারপর রাজনীতি। ক. দ্রুত লকডাউন তুলে নিতে হবে। ভবিষ্যতে যাতে লকডাউন দেওয়ার পরিস্থিতির উদ্ভব না হয়, সে লক্ষ্যে কাজ করতে হবে। খ. স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ নিশ্চিত করতে হবে। গ. হাসপাতালগুলোতে বেড ও আইসিইউর সংখ্যা বাড়াতে হবে। আরও ভেন্টিলেটর ও হাই ফ্লো অক্সিজেন সরবরাহের ব্যবস্থা করতে হবে। ঘ. অভাবগ্রস্তদের খাবার ও নগদ অর্থ পৌঁছে দিতে হবে। ঙ. টিকা সংগ্রহ প্রক্রিয়া দ্রুততর করতে হবে। 'গ্যাভির সহায়তায় অন্য টিকা যেমন জনসন, সিনোভ্যাক্স, স্পুতনিক সংগ্রহের উদ্যোগ নিতে হবে। টিকা প্রদানের গতি বাড়াতে হবে। চ. সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দ্রুত খুলে দেওয়ার উদ্যোগ নিতে হবে, যাতে শিক্ষার্থীদের আর সময় নষ্ট না হয়। এ সবকিছুই করতে হবে ভিন্নমত প্রকাশের সব পথ উন্মুক্ত ও দলন-নিপীড়ন বন্ধ রেখে। এ জন্য সরকারের পাশাপাশি নাগরিক উদ্যোগ নিতে হবে। ছাত্রসংগঠন, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় দলগুলো, ব্যবসায়ী সম্প্রদায়কে এ জন্য এগিয়ে আসতে হবে। এবং তা করলেই ছাত্রসংগঠনগুলো, রাজনীতিক ও ব্যবসায়ীরা তাঁদের হৃত ভাবমূর্তি ফেরত পেতে পারেন। কেবল তখনই রাজনীতির ওপর 'লকডাউন' তুলে নেওয়া যেতে পারে। মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান সাবেক সচিব ও অর্থনীতিবিদ
রাজনীতি,মুহাম্মদ আবদুল মুনিম খান,লেখকের কলাম
দলীয় রাজনীতির ওপর 'লকডাউন' প্রয়োজন
opinion
https://www.bhorerkagoj.com/2019/03/06/%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%b6%e0%a7%8d%e0%a6%ac%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%b8%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%ac%e0%a6%95%e0%a6%a8%e0%a6%bf%e0%a6%b7%e0%a7%8d%e0%a6%a0-%e0%a6%a7%e0%a6%a8%e0%a6%95%e0%a7%81%e0%a6%ac/
বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ ধনকুবের কাইলি
বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ ধনকুবের তালিকায় স্থান পেলেন মার্কিন মডেল, অভিনেত্রী ও রিয়েলিটি শো তারকা কাইলি জেনার। ফোর্বস ম্যাগাজিনের করা সর্বশেষ তালিকায় থেকে উঠে আসা এই নারী কারদাশিয়ান পরিবারের সবচেয়ে ছোট সদস্য। তবে ২১ বছর বয়সী এ মার্কিন মডেল উত্তরাধিকার সূত্রে নয়, নিজের যোগ্যতায় বিশাল সম্পদের মালিক হয়েছেন। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, কাইলি বিলিয়ন ডলারের মালিক হয়েছেন তার কসমেটিকস ব্যবসার মাধ্যমে। তিন বছর আগে যাত্রা শুরু করা কাইলি কসমেটিকস গত বছর আয় করেছে ৩৬ কোটি ডলার। এত অল্প বয়সে ধনকুবের বনে যাওয়া কাইলি ফেসবুক প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গকেও ছাড়িয়ে গেছেন। কারণ জাকারবার্গ বিলিয়ন ডলারের মালিক হয়েছিলেন ২৩ বছর বয়সে। কাইলি জেনার ফোর্বসকে বলেছেন, আমি ভবিষ্যৎ জানতাম না। আমি কিছু প্রত্যাশাও করিনি। তবে খবরটা সত্যিই ভালো। খুবই উৎসাহব্যঞ্জক। ফোর্বসের এবারের তালিকায় বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তির আসনটি ধরে রেখেছেন ই-কমার্স জায়ান্ট অ্যামাজনের প্রধান জেফ বেজোস। তার সম্পদের পরিমাণ গত এক বছরে ১৯ বিলিয়ন ডলার বেড়ে হয়েছে ১৩১ বিলিয়ন ডলার। তবে বিশ্বের বিলিয়নেয়ারদের হাতে থাকা মোট সম্পাদের পরিমাণ গত বছরের ৯.১ ট্রিলিয়ন ডলার থেকে নেমে এসেছে ৮.৭ বিলিয়ন ডলারে। এছাড়া যাদের সম্পদ কমেছে, তাদের মধ্যে আছেন- ফেসবুকের মার্ক জাকারবার্গ। তার সম্পদ গত বছরের ৬২ বিলিয়ন ডলার থেকে ৮.৭ বিলিয়ন ডলার কমে গেছে। ফোর্বসের এবারের বিলিয়নেয়ারের তালিকায় ২১৫৩ জনের মধ্যে নারী মাত্র ২৫২ জন। তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি- ৯.৪ বিলিয়ন ডলারের মালিক চীনের রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী উ ইয়াজুন। এবারের তালিকার বিলিয়নেয়ারদের মধ্যে ৬০৭ জন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক। এর পরেই আছে চীন। দেশটির ৩২৪ জনের নাম এসেছে এ তালিকায়।
null
কাইলি জেনার
entertainment
https://www.dailynayadiganta.com/subcontinent/420315/মুসলিম-যুবককে-পিটিয়ে-হত্যা-তসলিমা-নাসরিনের-বিস্ফোরণ
মুসলিম যুবককে পিটিয়ে হত্যা : তসলিমা নাসরিনের বিস্ফোরণ
ঝাড়খণ্ডে ১৮ ঘণ্টা ধরে এক যুবককে পিটিয়ে মারার ঘটনায় স্তম্ভিত সারা ভারত। এই ঘটনার ধিক্কার জানালেন বিতর্কিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন। ঝাড়খণ্ডে মৃত ওই যুবকের নাম তাবরেজ আনসারি। তাকে ল্যাম্পপোস্টে বেঁধে জোর করে 'জয় শ্রীরাম' বলিয়ে বেধড়ক মারধর করে কয়েকজন যুবক। মারধরের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। বলা হচ্ছে, একটি মোটরবাইকের সামনে ওই যুবককে দাঁড়াতে দেখে মোটরবাইক চোর সন্দেহ করে ওই যুবকরা। তারপরেই শুরু হয় নৃশংস অত্যাচার। ২৪ বছরের ওই মুসলমান যুবকটিকে পিটিয়ে খুনের ঘটনায় অভিযোগের আঙুল উঠেছে হিন্দুত্ববাদীদের দিকে। পুলিশ তাবরেজকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে তার মৃত্যু হয়। ঝাড়খন্ডে গত দু-তিন বছরে হিন্দুত্ববাদীদের হাতে এমন আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা বারেবারেই প্রকাশ্যে এসেছে। ঘটনার ধিক্কার জানিয়ে তসলিমা তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে লেখেন, '২৪ বছর বয়সী তাবরেজ আনসারিকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা পিটিয়েছে তারা, যারা তাকে জয় শ্রীরাম আর জয় হনুমান বলতে বাধ্য করেছে। শেষ পর্যন্ত হাসপাতালেই মরতে হলো তাবরেজকে। মোটর সাইকেল চুরি করতে চেয়েছিল তাবরেজ । বেটা চোর। কিন্তু চোরকে কি পিটিয়ে মেরে ফেলতে হয়? চোরকে কেনই বা জয় শ্রীরাম বলতে বলা হবে। রাগটা কি তবে যত না সে চোর বলে, তার চেয়ে বেশি মুসলমান বলে? ভারত নিয়ে আমি কতই না গর্ব করি যে এই দেশটি এর সংখ্যালঘুদের বড় ভালো রাখে। বাংলাদেশ আর পাকিস্তান তো তাদের সংখ্যালঘুদের নিশ্চিহ্ন করে দিচ্ছে। কিন্তু কদিন পর পরই এই ভারতবর্ষে ঘটে যাচ্ছে সংখ্যালঘুকে পিটিয়ে মারার কাহিনী, জোর করে জয় শ্রীরাম বলার কাহিনী। আমি জানি না কী মনে করে এরা মুসলমানদের মুখ থেকে জয় শ্রীরাম শুনতে চায়। রামের যারা ভক্ত, তারা তো জয় শ্রীরাম বলছেই, তাদের তো কেউ বাধা দিচ্ছে না। জয় শ্রীরাম বললে কি মুসলমানরা হিন্দু হয়ে যায় বা রামকে ঈশ্বর বলে মানতে শুরু করে ? তা তো নয়, বরং এসবের জন্য হিন্দুদের বদনাম হয়। পিটিয়ে কি ১৭ কোটি মুসলমানকে মেরে ফেলা যাবে, সে তো যাবে না।শান্তির সম্পর্ক গড়ে তোলা ছাড়া আপাতত আর কোনও উপায় নেই। অন্যের প্রতি তীব্র ঘৃণা নিয়ে দিনের পর দিন বাস করাও দুর্বিষহ।প্রাণের আরাম হয় না। সে কারণে দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে বন্ধুত্বই একমাত্র সমাধান। ভারত মহান। ভারতকে বাংলাদেশ বা পাকিস্তানের মতো হওয়া মানায় না।' সূত্র : কলকাতা২৪৭
null
তসলিমা নাসরিন
international
https://www.bd-pratidin.com/city-news/2021/11/12/711073
উপমহাদেশের সবচেয়ে শক্তিশালী যুব সংগঠন যুবলীগ : শেখ পরশ
বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিবিজড়িত ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের শিখা চিরন্তন থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশের নেতৃত্বে এ বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রাটি শুরু হয়। শোভাযাত্রাটি রাজধানীর বিভিন্ন পথ প্রদক্ষিণ করে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে গিয়ে শেষ হয়। বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের দফতর সম্পাদক মো. মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের ৪৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ঐতিহাসিক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা উপহার দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয়, ঢাকা মহানগর উত্তর ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ, ঢাকা জেলা, গাজীপুর জেলা ও গাজীপুর মহানগরসহ সকল স্তরের নেতা-কর্মীদের প্রতি অশেষ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি। বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ
উপমহাদেশ, শক্তিশালী, সংগঠন, যুবলীগ, শেখ পরশ
শোভাযাত্রাটি রাজধানীর বিভিন্ন পথ প্রদক্ষিণ করে
national
https://samakal.com/whole-country/article/18111675/আ’-লীগের-মনোনীত-প্রার্থীকে-প্রত্যাখান-নেতাকর্মীদের
রাজাপুরে আ' লীগের মনোনীত প্রার্থীকে প্রত্যাখান নেতাকর্মীদের
ঝালকাঠি-১ (রাজাপুর-কাঁঠালিয়া) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য বজলুল হক হারুনকে প্রত্যাখান করে বিক্ষোভ ও ঝাড়ু মিছিল করেছে দলের একাংশের নেতাকর্মীরা। সোমবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে উপজেলা যুবলীগ কার্যালয় থেকে ঝাড়ু মিছিল বের হয়। পথে কয়েক দফায় পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে মিছিলটি উপজেলা সদরের ডাকবাংলো ও উপজেলার সামনের সড়ক হয়ে বাইপাস গিয়ে পুণরায় যুবলীগ কার্যালয়ে এসে শেষ হয়। বিক্ষোভ ও ঝাড়ু মিছিলে বজলুল হারুনকে জনবিচ্ছিন্ন, দুুর্নীতিবাজ ও জামাতঘেষা আখ্যা দিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দেন নেতাকর্মীরা। এর আগে যুবলীগ কার্যালয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম স্বপন, রিয়াজ মাতুব্বর, শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ডেজলিং, নাসির মৃধা, উপজেলা যুবলীগের সহ সভাপতি শহিদুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক ইউসুফ সিকদার, জাকির হোসেন, হেমায়তে উদ্দিন, মিজানুর রহমান, হুমাউন কবির, আলমগীর চৌধুরী প্রমুখ। বক্তারা এমপি হারুনকে স্বাধীনতাবিরোধী পরিবারের সন্তান উল্লেখ করে বলেন, পাকিস্থান আমলে সরকারের প্রিয়পাত্র হওয়ায় হারুনের বাবাকে বুলবুলে পাকিস্থান উপাধি দেওয়া হয়েছিল। এমন একটি পরিবারের সন্তানকে বারবার মনোনয়ন দিলে তা মেনে নেয়া যায় না। তা ছাড়া জনবিচ্ছিন্ন হারুনের বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। বক্তারা আরও বলেন, হারুন সংসদ সদস্য থাকা অবস্থায় এলাকার নেতাকর্মীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখেননি। এর আগে ১৯৯১ সালে তিনি বিএনপি থেকে নির্বাচন করেন এবং ১৯৯৬ সালে তিনি জাতীয় পার্টির প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচন করেন। এত কিছুর পরও তাকে মনোনয়ন দিচ্ছে আওয়ামী লীগ। তাই অবিলম্বে হারুনকে দেয়া মনোনয়ন পরিবর্তন করে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোয়াজ্জেম হোসেনের ছেলে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা মনিরুজ্জামানকে মনোনয়ন দেয়ার দাবি জানান তারা। মনোনয়ন পরিবর্তন করা না হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারী দেন বক্তারা। এ বিষয়ে রাজাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জাহিদ হোসেন জানান, শহরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ও বিশৃঙ্খলা এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
ঝালকাঠি,বজলুল হক হারুন
নেতাকর্মীদের ঝাড়ু মিছিলে পুলিশের বাধা
national
https://www.dailynayadiganta.com/cricket/415617/মুশফিকের-মিস-যা-বললেন-মাশরাফি
মুশফিকের মিস, যা বললেন মাশরাফি
বুধবার লন্ডনের কেনিংটন ওভালে বাংলাদেশকে ২ উইকেটে হারিয়েছে নিউজিল্যান্ড। টস হেরে বাংলাদেশ প্রথমে ব্যাট করে। সাকিব আল হাসানের ৬৮ বলে ৬৪ রানের ইনিংসে ভর করে ৪৯.২ ওভারে ২৪৪ রান তুলেছিল বাংলাদেশ। জবাবে ১৭ বল হাতে রেখেই দু'উইকেটে ম্যাচ জেতে কিউইরা। এদিন রান তাড়া করতে নেমে রস টেলর দুরন্ত ইনিংস খেলেন। ৯১ বলে ৮২ রান করেন তিনি। এই ম্যাচে বাংলাদেশের হারের জন্য অনেকেই দায়ী করেছেন উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিমকে। তাকে নিয়ে সোশাল মিডিয়ায় শুরু হয়ে গেছে সমালোচনাও। নিউজিল্যান্ডের ইনিংসের ১২ নম্বর ওভারের দ্বিতীয় বলের ঘটনা এটি। সদ্য ক্রিজে আসা টেলর সিঙ্গল নেয়ার জন্য কিউই অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনকে ডেকেছিলেন। মিড অফ থেকে তামিম ইকবালের থ্রো ধরে উইকেটরক্ষক মুশফিকুর উইকেট ভেঙে দেন। উইলিয়ামসন তখনো ক্রিজের অনেকটা বাইরে ছিলেন। খালি চোখে দেখে মনেই হয়েছে এবার প্যাভিলিয়নে ফিরবেন কিউই ক্যাপ্টেন। কিন্তু মুশফিকুর একটি ভুল করে বসেন। তামিমের থ্রো সরাসরি উইকেটেই আসছিল। কিন্তু বাড়তি সতর্কতা নিয়ে স্টাম্পিং নিশ্চিত করতে যান মুশফিকুর। স্টাম্পের সামনে এসে বল ধরে উইকেট ভাঙার চেষ্টা করেন তিনি। ঠিক তখন মুশফিকুররে কনুইতে লেগে আগেই বেল পড়ে যায়। ফলে তৃতীয় আম্পায়ার এটি নট আউট বলেই জানিয়ে দেন। বাংলাদেশের অধিনায়ক মাশরাফি কিন্তু মুশফিকুরের পাশে এসেই দাঁড়িয়েছেন। তিনি বললেন, "এটা ঠিক যে, ওই রান আউটটি ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট হতে পারত। কারণ উইলিয়ামসন আর টেলর সেসময় সেট হয়ে গেছিল পরে। কিন্তু মুশফিকুরকে দায় করার কোনো মানে নেই। থ্রো-টি সোজা আসছিল। কিন্তু কিপারের পক্ষে বোঝা সম্ভব ছিল না, বলটা সোজা আসছে না অন্যভাবে। ও বলটা ধরেই স্টাম্প করতে গিয়েছিল। তখনই আচমকা ওর কনুই লেগে যায়। এরকম ভুল হতেই পারে। এটা খেলারই অঙ্গ। আগেও হয়েছে। কেউ ভুল করতে চায় না।"
null
মুশফিকুরের মিস, যা বললেন মাশরাফি
sports
https://www.bd-pratidin.com/city-news/2021/01/26/611931
আগে ভদ্র ছিলেন এখন চিকিৎসা দরকার : কাদের মির্জা প্রসঙ্গে এমপি একরাম
নোয়াখালী-৪ (সদর ও সুবর্ণচর) আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরী বসুরহাট পৌরসভার নবনির্বাচিত মেয়র কাদের মির্জার কড়া সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, উনি আগে ভদ্র ছিলেন। কিন্তু এখন তার চিকিৎসা দরকার। তিনি এখন যা শুরু করেছেন তাতে করে এটা স্পষ্ট যে উনি অসুস্থ। সোমবার রাতে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল নিউজ টোয়েন্টিফোর-এ 'মুখোমুখি একরামুল করিম চৌধুরী' শীর্ষক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। একরাম চৌধুরী আরও বলেন, তিনি আমাকে ও আমার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বাজে মন্তব্য করেছেন। এটা মেনে নেওয়া যায় না। আমি বলবো উনার এখন চিকিৎসা দরকার। কোনো সুস্থ মানুষ এভাবে কথা বলতে পারেন না।
null
বাঁ থেকে কাদের মির্জা ও একরাম চৌধুরী
national
https://samakal.com/whole-country/article/200626283/উপসর্গে-মারা-যাওয়া-গৃহবধূর-লাশ-নিল-না-স্বজনরা
করোনা উপসর্গে মারা যাওয়া গৃহবধূর লাশ নিল না স্বজনরা
নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলায় করোনভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া এক গৃহবধূর লাশ বাড়িতে দাফন করতে দেননি শ্বশুর ও বাবার বাড়ির লোকজন। সোমবার রাতে করোনা উপসর্গ নিয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় মনোয়ারা বেগম (২৫) নামের ওই গৃহবধূর। তিনি পৌরসভার বগুলাগাড়ী এলাকার শরিফুল ইসলামের স্ত্রী। মনোয়ারার মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর বাবার ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন লাশ গ্রহণ করতে না চাননি। এমনকি লাশের সঙ্গে মাইক্রোবাসে জলঢাকা পর্যন্ত আসার পর পালিয়ে যান করোনা উপসর্গ থাকা শরীফুল। এরপর স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতায় ডাকবাংলো এলাকায় সরকারি কবরস্থানে তার লাশ দাফন করা হয়। স্বজনরা জানান, মনোয়ারা বেগম স্বামীর সঙ্গে ঢাকায় পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। ঢাকায় অবস্থানকালে তাদের দু'জনে করোনা উপসর্গ (জ্বর-সর্দি-কাশি) দেখা দেয়। এরপর বাড়িতে ফিরে গত ৫ জুন স্বামীসহ রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন মনোয়ারা বেগম। সেখানে পরীক্ষার জন্য তাদের দু'জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। ওই পরীক্ষার রিপোর্ট এখনও পাওয়া যায়নি। এর আগেই সোমবার রাতে রংপুর মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় মনোয়ারার। উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, মনোয়ার লাশ তার শ্বশুরবাড়ি ও বাবার বাড়িতে দাফন করতে দেওয়া হবে না বলে দুই পরিবারের লোকজন জলঢাকা পৌরসভার প্যানেল মেয়র রুহুল আমিনকে জানান। এরপর ওসি মোস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করেন প্যানেল মেয়র। এ সময় জলঢাকা থানা পুলিশ লাশ দাফনের ব্যবস্থা করবে বলে ওসি আশ্বাস দেন। এরপর স্ত্রীর লাশ নিয়ে মাইক্রোবাসে করে জলঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হন শরিফুল। জলঢাকায় পৌঁছানোর এক পর্যায়ে স্ত্রীর লাশ মাইক্রোবাসে রেখে পালিয়ে যান তিনি। পরে মনোয়ারার শ্বশুর ও বাবারবাড়ির লোকজনসহ এলাকাবাসী লাশ দাফন করতে অস্বীকৃতি জানান। এরপর জলঢাকা করোনাভাইরাস ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্য এসআই ওসমান গনি ও এএসআই ফুলমামুদসহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল টিমের উপস্থিতিতে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জলঢাকা সরকারি ডাকবাংলো কবরস্থানে মনোয়ারার লাশ দাফন করা হয়। এ বিষয়ে প্যানেল মেয়র রুহুল আমিন জানান, 'মানুষ কতোটা অমানবিক হতে পারে মনোয়ারা বেগমের মৃত্যু না হলে তা বুঝতে পারতাম না।' জলঢাকা থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান বুধবার সাংবাদিকদের বলেন, 'স্বাস্থ্যবিধি মেনে অবশেষে নিজ এলাকাতেই মনোয়ারা বেগমের লাশ দাফন করতে পেরেছি এটাই আমাদের প্রাপ্তি।'
করোনা উপসর্গ,অমানবিকতা,জলঢাকা
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সরকারি কবরস্থানে গৃহবধূ মনোয়ারার লাশ দাফন করে পুলিশ ও স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগ। :
national
https://www.dailynayadiganta.com/asia/573455/মিয়ানমারে-জান্তাবিরোধী-বিক্ষোভে-নিহতের-সংখ্যা-বেড়ে-৫৫০
মিয়ানমারে জান্তাবিরোধী বিক্ষোভে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫৫০
মিয়ানমারে প্রায় দুই মাস চলমান অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভে নিরাপত্তা বাহিনীর সহিংস অবস্থানে অন্তত ৫৫০ জন নিহত হয়েছেন। থাইল্যান্ডভিত্তিক মিয়ানমারের মানবাধিকার পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা অ্যাসিসটেন্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনারসের (এএপিপি) বরাত দিয়ে শনিবার খবর জানায় আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম। এএপিপি তাদের প্রতিবেদনে জানায়, শুক্রবার পর্যন্ত দেশটিতে অন্তত ৫৫০ জন নিহত হয়েছেন যাদের মধ্যে ৪৬ জন শিশু। এছাড়া বিক্ষোভ সংশ্লিষ্টতায় দুই হাজার সাত শ ৫১ জনকে বর্তমানে জান্তা কর্তৃপক্ষের হাতে বন্দী রয়েছেন। এদিকে মিয়ানমারে অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের রক্তাক্ত ঘটনার এক সপ্তাহ পর দেশজুড়ে প্রতিবাদ অব্যাহত রেখেছে বিক্ষোভকারীরা। নিরাপত্তা বাহিনীর দমন সত্ত্বেও দেশটির বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভকারীরা ছোট ছোট ভাগে 'গেরিলা র্যালির' মাধ্যমে সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে। এদিকে বৃহস্পতিবার থেকে দেশটিতে তারবিহীন ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ করে দেয়ায় বড় বড় প্রতিবাদ সমাবেশ ও র্যালি কমে এসেছে। মিয়ানমারে ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ করার নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জালিনা পোর্টার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, 'আমরা আশা করি এতে জনগণের কণ্ঠ নিরব হবে না।' ১ ফেব্রুয়ারি তাতমাদাও নামে পরিচিত মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী দেশটিতে সেনা অভ্যুত্থান ঘটায় এবং প্রেসিডেন্ট উইন মিন্ট ও স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চিসহ রাজনৈতিক নেতাদের গ্রেফতার করে। সাথে সাথে দেশটিতে এক বছরের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করা হয় গত বছরের নভেম্বরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে বিতর্কের জেরে এই অভ্যুত্থান ঘটায় সামরিক বাহিনী। সেনা অভ্যুত্থানের প্রতিবাদে ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে মিয়ানমারের বিভিন্ন শহরেই বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভকারীরা অং সান সু চিসহ বন্দী রাজনৈতিক নেতাদের মুক্তির পাশাপাশি সামরিক শাসন প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে আসছেন। সূত্র : আলজাজিরা
এশিয়া,মিয়ানমার,সেনা অভ্যুত্থান,বিক্ষোভ
নিহত বিক্ষোভকারীর স্বজনদের শোক
international
https://www.bd-pratidin.com/country/2021/09/09/689397
ফরিদপুরে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও বেড়েছে নদী ভাঙন
ফরিদপুরে পদ্মা নদীর পানি কমতে থাকায় বন্যা পরিস্থিতি আরো উন্নতি হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় গোয়ালন্দ পয়েন্টে পদ্মা নদীর পানি ১৬ সেন্টিমিটার কমে তা বিপদসীমার ২৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। টানা ৪ দিন ধরে পদ্মার পানি কমতে থাকায় সদর উপজেলার অম্বিকাপুর ও আলিয়াবাদ ইউনিয়নে কিছুটা উন্নতি হলেও পদ্মার পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় নিম্নাঞ্চলগুলো এখনো পানির নিচে তলিয়ে আছে। এদিকে, পদ্মা, আড়িয়াল খাঁ ও মধুমতি নদীর পানি কমতে শুরু করলেও এসব এলাকায় নদী ভাঙন বেড়েছে আশঙ্কাজনক হারে। আলফাডাঙ্গায় মধুমতি নদীর ভাঙনে সেখানকার কয়েকশ পরিবার দিশেহারা অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে জিও ব্যাগ ভর্তি বালুর বস্তা ফেললেও কোনো ক্রমেই ভাঙনরোধ করা যাচ্ছে না। ফলে নদী তীরের মানুষ এখন আতঙ্কিত হয়ে দিন কাটাতে বাধ্য হচ্ছে। বিডি প্রতিদিন/এমআই
ফরিদপুরে, বন্যা, পরিস্থিতির, উন্নতি, হলেও, বেড়েছে, নদী, ভাঙন
ফরিদপুরে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি।
national
https://www.ajkerpatrika.com/50215/%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%BE-%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%A8%E0%A6%B0%E0%A7%81%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A3%E0%A6%87-%E0%A6%B9%E0%A6%B2%E0%A7%8B-%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%95
শিক্ষা পুনরুদ্ধারের প্রাণই হলো শিক্ষক
আজ ৫ অক্টোবর, বিশ্ব শিক্ষক দিবস। শিক্ষা উন্নয়নে শিক্ষকদের অবদানের স্বীকৃতি দিতে ১৯৯৫ সাল থেকে ইউনেসকোর মাধ্যমে সারা বিশ্বের ১০০টি দেশে এই দিবস পালিত হচ্ছে। দিবসটি উপলক্ষে ইউনেসকো প্রতি বছর একটি স্লোগান প্রকাশ করে। এবারের স্লোগান-'শিক্ষা পুনরুদ্ধারের প্রাণই হলো শিক্ষক'। স্লোগানটির মর্মার্থ যত দ্রুত উপলব্ধি হবে, শিক্ষা পুনরুদ্ধারে সাফল্য তত দ্রুত অর্জন করা যাবে। করোনার কারণে গত বছরের ১৭ মার্চ বিদ্যালয়গুলো বন্ধ হওয়ার প্রায় ৫৪৪ দিন পর গত ১২ সেপ্টেম্বর বিদ্যালয়গুলো খোলা হয়েছে। ফলে শিক্ষা পুনরুদ্ধারের মাধ্যমে ভবিষ্যৎ শিক্ষার রূপরেখা তৈরির এখনই সেরা সময়। ভবিষ্যৎ শিক্ষার রূপকল্প প্রস্তুতের জন্য শিক্ষকেরাই অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। শিক্ষকদের সার্বিক সহযোগিতার জন্য আমাদের এই মুহূর্তে যে বিষয়গুলো আলোচনা করা দরকার তা হলো-শিক্ষকতা পেশার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা: আলোকিত টিচার্স গত মাসে শিক্ষকদের পেশাগত উন্নয়নে একটি সার্ভে করেছিল। সেখানে শিক্ষকদের জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল-তাঁরা কি তাঁদের পেশাকে নিরাপদ মনে করেন? ২৫ শতাংশ শিক্ষকই এই প্রশ্নে নেতিবাচক মন্তব্য করেছেন। তাঁদের এই নেতিবাচক মন্তব্যের পেছনে যুক্তিগুলোও আমাদের ভাবিয়ে তুলেছে। অনেকেই করোনার কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার ফলে জীবিকার জন্য অন্য পেশাগুলো বেছে নিয়েছেন। অনেকেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বিক্রি করে অন্য পেশায় যুক্ত হয়েছেন।বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর বলছে, করোনাকালে প্রায় ১০ হাজার কিন্ডারগার্টেন বন্ধ হয়েছে। ফলে অনেক শিক্ষক চাকরি হারিয়েছেন। শিক্ষকতা পেশার নিরাপত্তা না থাকায় ভবিষ্যতে এ পেশায় অনেক মেধাবীই আসতে চাইবে না। এখনই সময় এই পেশার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। শিক্ষকেরা যেন ভবিষ্যতে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে পারে, সে জন্য বিভিন্ন বিমা, বিশেষ ঋণ সহায়তা দিয়ে পেশার সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। প্রতিষ্ঠান অনুযায়ী শিক্ষকদের বেতন সুনির্দিষ্ট করে কেন্দ্রীয়ভাবে নিয়ন্ত্রণ করা। শিক্ষকেরা যেন বেতন নিয়ে সন্তুষ্ট থাকেন, সময়ের সঙ্গে জীবন ও জীবিকার কথা বিবেচনা করে তাঁদের বেতন-ভাতা মানসম্মত করা ইত্যাদি বিষয় গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করতে হবে।আগ্রহীদেরই শিক্ষকতায় নেওয়া দরকার: শিক্ষা সময়ের সেরা বিনিয়োগের ক্ষেত্র। সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল বা টেকসই উন্নয়নের জন্য শিক্ষায় বিনিয়োগের কোনো বিকল্প নেই। ভারতের নোবেলজয়ী শিক্ষাবিদ কৈলাস সত্যার্থী বলেন, শিক্ষায় ১ ডলার বিনিয়োগ করলে আগামী ২০ বছরের মধ্যে তা ১৫ গুন হয়ে ফিরে আসে। ফলে শিক্ষা ব্যবস্থায় বিনিয়োগ বাড়িয়ে শিক্ষকতা পেশায় মেধাবী শিক্ষার্থীদের আগ্রহ বাড়াতে হবে। আগ্রহী শিক্ষার্থীদের স্বচ্ছ ও যুগোপযোগী মূল্যায়নের মাধ্যমে এই পেশায় আসার জন্য আমন্ত্রণ জানাতে হবে।শিক্ষকের দক্ষতা বৃদ্ধিতে গুরুত্ব দেওয়া: প্রযুক্তির ছোঁয়ায় পৃথিবী প্রতি সেকেন্ডে বদলে যাচ্ছে। সেই সঙ্গে শিক্ষকদেরও বদলাতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। একজন শিক্ষক আজকেই আগামী দশকের সময়, সুযোগ ও সমস্যা মোকাবিলার জন্য শিক্ষার্থীদের প্রস্তুত করছেন। ফলে শিক্ষকদের দক্ষতা উন্নয়নের জন্য যুগোপযোগী ও বিশ্বমানের প্রশিক্ষণ, সিম্পোজিয়াম ও কর্মশালার ব্যবস্থা করতে হবে। শিক্ষকদের আত্মোন্নয়নের জন্য প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে গুরুত্ব দিতে হবে। আলোকিত টিচার্সের গত মাসে করা জরিপে শিক্ষকদের একটি প্রশ্ন করেছিল, শিক্ষকেরা তাদের পেশাগত উন্নয়নের জন্য প্রশিক্ষণের প্রয়োজন মনে করেন কি না? এতে অংশগ্রহণকারীদের ৮৬ দশমিক ৭ শতাংশই দক্ষতা বৃদ্ধিতে প্রশিক্ষণ প্রয়োজন বলে মত দিয়েছেন। করোনার মতো যেকোনো মহামারি মোকাবিলায় শিক্ষকদের আগে থেকে প্রস্তুত করে রাখতে হবে। করোনার মতো পরিস্থিতিতে কীভাবে শিক্ষাকে পুনরুদ্ধার করা যায়, সে বিষয়ে সম্যক জ্ঞান রাখতে হলে প্রশিক্ষণের কোনো বিকল্প নেই।শিক্ষক-শিক্ষার্থী-অভিভাবক সম্পর্ক সুদৃঢ় করা: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মূল দুই উপাদান হলো শিক্ষক ও শিক্ষার্থী। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের সার্বিক উন্নয়নের জন্য অভিভাবকের গুরুত্ব অপরিসীম। ফলে শিক্ষা ব্যবস্থার সার্বিক সাফল্য পেতে হলে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকের পারস্পরিক সম্পর্ক সুদৃঢ় হওয়া ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই। করোনাকালে দেখা গেছে, শিক্ষার্থীরা দীর্ঘসময় বাড়িতে অবস্থান করায় শিক্ষকদের সঙ্গে তাদের একটা দূরত্ব তৈরি হয়েছে। তাদের মানসিকভাবে আগের অবস্থানে ফিরিয়ে নিতে শিক্ষকেরা অনেক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছেন। এ ক্ষেত্রে অভিভাবকদের সহযোগিতা করতে হবে। আর এই সার্বিক পরিবেশ সৃষ্টির জন্য আন্তযোগাযোগের কোনো বিকল্প নেই।শিক্ষকতা হোক আনন্দদায়ক: শিক্ষা আনন্দদায়ক হোক-এটা সবার প্রত্যাশা। এ ক্ষেত্রে বরাবরই শিক্ষার্থীর কথা বিবেচনা করা হয়। শিক্ষার পাঠ্যক্রমেও শিক্ষার্থীর গুরুত্ব বেশি দেওয়া হয়েছে। আগামী ২০২৩ সালের শিক্ষাক্রমে শিক্ষার্থীদের চাপ কমানোর জন্য নানান পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। আমাদের ভাবতে হবে, শিক্ষকদেরও চাপমুক্ত রাখার বিষয়টি। বাংলাদেশের প্রাথমিক শিক্ষকেরা শিক্ষকতার পাশাপাশি অনেক জরিপকাজে অংশ নেন। অন্য শিক্ষকদেরও শিক্ষণের পাশাপাশি অনেক দায়িত্ব পালন করতে হয়। এর সঙ্গে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনার সঙ্গে যুক্ত থাকেন শিক্ষক। ফলে মূল কাজ শিক্ষণ থেকে অনেক সময়ই একজন শিক্ষককে বিচ্যুত হতে হয়। এর পরিবর্তন দরকার। পাশাপাশি শিক্ষকদের জন্য বিনোদন ছুটির ব্যবস্থা করাও জরুরি। শিক্ষকের মানসিক স্বাস্থ্যের দিকেও নজর দিতে হবে। এ জন্য নানা প্রশিক্ষণ ও কর্মশালার ব্যবস্থা করা যায়।শিক্ষকদের স্বীকৃতি দেওয়া: শিক্ষকতায় স্বীকৃতি খুব গুরুত্বপূর্ণ প্রণোদনা হিসেবে কাজ করে। ফলে শিক্ষকদের প্রতিটি কাজের স্বীকৃতি দেওয়ার ব্যবস্থা করা দরকার। ইদানীং অনেক প্রতিষ্ঠানই বছর শেষে 'সেরা শিক্ষক' ঘোষণার মাধ্যমে শিক্ষকদের কাজের স্বীকৃতি দেয়। এই বছর সরকার এটুআই ও গ্রামীণফোনের উদ্যোগে 'সংকটে নেতৃত্বে' শিরোনামে শিক্ষকদের সম্মাননা দিয়েছে। এ ছাড়া আলোকিত টিচার্স 'টিচার্স ইনোভেটরস-২০২১' এর মাধ্যমে শিক্ষকদের নানা উদ্ভাবনের স্বীকৃতি দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে। বাংলাদেশের সব শিক্ষক থেকে আসা নানা উদ্ভাবনের মধ্যে সেরা তিনজনকে পুরস্কৃত করা হচ্ছে। এভাবে প্রতিটি প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন প্রতিযোগিতার আয়োজনের মাধ্যমে শিক্ষকদের উদ্ভাবন ও কাজের স্বীকৃতি দিতে পারে।আগামীর বাংলাদেশ কেমন হবে তার ভিতটি তৈরি করেন আজকের শিক্ষকেরা। শিক্ষকদের মানোন্নয়ন ছাড়া শিক্ষা ব্যবস্থার মানোন্নয়ন হবে না। ফলে শিক্ষকের দক্ষতা উন্নয়ন, স্বাধীনতা ও সম্মানের বিষয়ে যত্নশীল হওয়ার মাধ্যমেই আগামীর স্বনির্ভর ও উন্নত বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করা সম্ভব।সাইফুল ইসলাম তালুকদার: প্রশিক্ষক, আলোকিত টিচার্স
মতামত,উপসম্পাদকীয়,দিবস,শিক্ষক
শিক্ষায় বিনিয়োগই সবচেয়ে ভালো বিনিয়োগ। পিক্সাবে ডটকমের সৌজন্যে
opinion
https://www.prothomalo.com/opinion/memoir/এক-প্রাতঃস্মরণীয়-রাজনীতিবিদের-জন্মদিনে
এক প্রাতঃস্মরণীয় রাজনীতিবিদের জন্মদিনে
লালবাহাদুর শাস্ত্রী (১৯০৪-১৯৬৬) ভারতের দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রী। পণ্ডিত জওহরলাল নেহরু ১৯৬৪ সালের ২৭ মে মৃত্যুবরণ করলে ওই বছরের ৯ জুন তিনি দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং ১৯৬৬ সালের ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। ভারতের ১৫ জন প্রধানমন্ত্রীর জীবনী পর্যালোচনা করলে মহত্ত্ব, সততা ও নীতিনৈতিকতার মানদণ্ডে শাস্ত্রীই একমাত্র নেতা, যিনি ব্যক্তি মহত্ত্বের উচ্চতায় শুধু ভারতবর্ষ নয়, বিশ্ব ইতিহাসে বিরল ব্যক্তিত্ব হিসেবে স্বীকৃত। ১৯০৪ সালের ২ অক্টোবর উত্তর প্রদেশের বরাণসী থেকে সাত মাইল দূরে মোগলসরাই রেলস্টেশনসংলগ্ন চান্দাউলি গ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। ২ অক্টোবর (১৮৬৯) মহাত্মা গান্ধীরও জন্মদিন। সে কারণে হয়তো শাস্ত্রীর জন্মদিন ঢাকা পড়ে যায়। এ বছরের ১১৭তম জম্মবর্ষে তাঁর পুণ্যস্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি। ১৯২০ সাল থেকে তাঁর রাজনীতির যাত্রা শুরু। ১৯৪৬ সাল থেকে মৃত্যুর আগপর্যন্ত বিধানসভা, রাজ্যসভা ও লোকসভার নির্বাচিত প্রতিনিধি এবং ১৯৪৬ সাল থেকে উত্তর প্রদেশের রাজ্য সরকার এবং ১৯৫২ সাল থেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সদস্য হিসেবে পাঁচটি মন্ত্রণালয়-রেলওয়ে, যোগাযোগ, পররাষ্ট্র, শিল্প ও বাণিজ্য, স্বরাষ্ট্র প্রভৃতি দপ্তরের পূর্ণ মন্ত্রী (মাঝখানে দপ্তরবিহীন) এবং শেষের ৫৮১ দিন ভারতের প্রধানমন্ত্রীর পদ অলংকৃত করেন। ১৯৬৫ সালের সেপ্টেম্বরে পাকিস্তান-ভারত যুদ্ধের পর তৎকালীন সোভিয়েত রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আলেক্সি কোসিগিনের মধ্যস্থতায় তাসখন্দে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খান ও লালবাহাদুর শাস্ত্রীর মধ্যে ১০ জানুয়ারি (১৯৬৬) একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরের পর দিবাগত রাতে (১১ জানুয়ারি) শাস্ত্রী হৃদ্যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তাসখন্দেই মারা যান। উপমহাদেশ শুধু নয়; একজন আদর্শ, সচ্চরিত্রবান, কঠোর পরিশ্রমী ও ত্যাগী নেতা হিসেবে বিশ্ব ইতিহাসে তিনি এক বিরল ও ব্যতিক্রমী ব্যক্তিত্ব। ভারতে শাস্ত্রীর সততা, কৃচ্ছ্র, ত্যাগ, সরল ও সাদাসিধে জীবন, প্রখর নীতিবোধ, উচ্চতর জীবনদর্শন ইত্যাদি নিয়ে বহু কিংবদন্তি চালু আছে। রাজনৈতিক ও শাসনতান্ত্রিক সব কীর্তির চেয়েও তিনি তাঁর বিরল ব্যক্তিচরিত্রের সুমহান আদর্শ ও বৈশিষ্ট্যের জন্য বিশ্বব্যাপী অনেক বেশি নন্দিত ও স্মরণীয়। ১৯৪৬ থেকে ১৯৬৫ সালের পুরো সময় তিনি মন্ত্রী হিসেবে সরকারি বাড়িতে বসবাস করেন। ১৯৬৬ সালের জানুয়ারিতে আকস্মিক মৃত্যুর পর তাঁর পরিবারকে প্রধানমন্ত্রীর নির্ধারিত বাড়িটি ছেড়ে দিতে হয়। তখনো দেখা গেল ভারতে শাস্ত্রীর কোথাও কোনো বাড়ি নেই। সম্পদের মধ্যে পাওয়া গেল ১২ হাজার টাকা দামের পুরোনো একটি ফিয়াট গাড়ি, যা ব্যাংক লোনে কেনা। ওই লোনের পাঁচ হাজার টাকা তখনো অপরিশোধ্য। তাঁর পরিবারকে তিনি সরকারি গাড়ি ব্যবহার করতে দিতেন না। তাই ছেলেমেয়ের স্কুল-কলেজে যাওয়া-আসার জন্য অনেক পীড়াপীড়িতে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর লোন করে গাড়িটি কেনা হয়। যাহোক, ভারতের প্রয়াত প্রধানমন্ত্রীর ভারতে কোনো নিজস্ব বাড়ি নেই-বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর দেশব্যাপী একটি আলোড়ন ওঠে। সারা ভারত থেকে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের ঠিকানায় সাধারণ মানুষ অকাতরে টাকাপয়সা পাঠাতে থাকে। তাতে অনেক টাকা জমা হয়। অস্থায়ী প্রধানমন্ত্রী গোলজারি লাল নন্দা এসব অর্থ নিয়ে মিসেস ললিতা শাস্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে এ অর্থ গ্রহণের অনুরোধ জানান। তিনি কয়েক দিন সময় চান এবং ভেবে পরে বলবেন বলে জানান। পরে তিনি বলেন, শাস্ত্রীজি জীবিতকালে যা করেননি, তাঁর স্ত্রী হিসেবে তাঁর অবর্তমানে তা তিনি করতে পারেন না। ভারতবাসীর ভালোবাসার এ দান ভারতের মানুষের কল্যাণে ব্যয় করার জন্য তিনি অনুরোধ জানান। ১৯৫৭ সালের নির্বাচনের আগে 'কামরাজ পরিকল্পনা'র অধীনে অনেকের সঙ্গে শাস্ত্রীজিও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দলের কাজে মনোনিবেশ করেন। তখন তাঁর বাড়ি নিয়ে একই সংকট হয়। ভারতে তাঁকে বলা হতো 'হোমলেস হোম মিনিস্টার'। সরকারি পদ ব্যবহার করে কোনো বিশেষ সুবিধা নেওয়ার তিনি ছিলেন ঘোর বিরোধী। কথিত আছে, একবার দিল্লির কোনো এক কলেজে ভর্তির আবেদনপত্র জমা দেওয়ার শিক্ষার্থীর ভিড়ে লাইনে দাঁড়িয়ে শাস্ত্রীর এক ছেলে ফরম জমা দিয়েছিলেন। এটিও তৎকালে পত্রপত্রিকায় একটি বিস্ময়কর খবর হিসেবে প্রকাশিত হয়। একবার এক বয়স্কা দলছুট তীর্থযাত্রী একটি রেলস্টেশনে ট্রেনের খোঁজ করছিলেন। প্ল্যাটফর্মের লোকজন বললেন, যে ট্রেন তিনি খুঁজছেন, সেটি তো চলে গেছে। পরদিন একই সময়ে এ ট্রেন পাওয়া যাবে। স্টেশনের একজন সদয় পরিচ্ছন্নতাকর্মী বৃদ্ধাকে একটি অপেক্ষাগারে বসিয়ে নানা প্রশ্ন করে তাঁর কোনো একটি নির্ভরযোগ্য ঠিকানা বের করার চেষ্টা করতে থাকেন। তখন বৃদ্ধা বললেন, তাঁর ছেলে রেলে চাকরি করেন। ছেলের নাম কী, এই প্রশ্ন করতেই বৃদ্ধা বললেন, লাল। লালবাহাদুর, লোকে 'শাস্ত্রীজি' বলে ডাকে।। স্টেশনে হইচই পড়ে যায়। আরে তিনি তো মন্ত্রী মহোদয়ের মাতাজি। রেলের কর্তারা মন্ত্রীর পিএসের সঙ্গে কথা বলে বিশেষ সেলুনে বৃদ্ধাকে দিল্লিতে মন্ত্রীর বাসায় পৌঁছে দেন। এত খাতির-যত্নে মা তো অভিভূত। মাকে পেয়ে ছেলেও খুশি। মা শাস্ত্রীকে বললেন, 'বাবা, তোমাদের রেলের লোকজন খুব ভালো! আমাকে খুব যত্ন করেছেন। আচ্ছা বাবা, তুমি রেলে কী চাকরি করো?' শাস্ত্রী মাকে বললেন, 'ছোটাসা এক কাম মা।' এই হচ্ছেন বিনয়ের অবতার শাস্ত্রী। তাঁর দৈনন্দিন জীবনযাপন ছিল অত্যন্ত সাদাসিধে-পায়ে পাম শু বা চটি, পরনে ধুতি-কুর্তা ও হাতাকাটা কোট। প্রথম কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হওয়ার পর নেহরু শাস্ত্রীকে কোনো একটি পশ্চিমা দেশে প্রতিনিধিদলের নেতা হিসেবে পাঠান। যাত্রার আগে নেহরুর হঠাৎ মনে হয়, ও দেশে তো অনেক শীত। শাস্ত্রীর তো ওভারকোট নেই। নেহরু তাঁর নিজের একটি ওভারকোট পাঠিয়ে দেন। শাস্ত্রীজির উচ্চতা ছিল ৫ ফুট ২ ইঞ্চি। নেহরুর ওই কোট শাস্ত্রীর গোড়ালি পর্যন্ত ঢেকে যায়। প্রতিনিধিদল নিয়ে দেশে ফিরে শাস্ত্রী নিজে কোটটি ধন্যবাদসহ নেহরুকে ফেরত দিয়ে আসেন। ১৯৫৬ সালে অন্ধ্র প্রদেশের মেহবুবনগরে এক রেল দুর্ঘটনায় ১১২ জন প্রাণ হারান। মন্ত্রী হিসেবে দায় গ্রহণ করে শাস্ত্রী প্রধানমন্ত্রী বরাবরে পদত্যাগপত্র জমা দেন। প্রধানমন্ত্রী নেহরু সে পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেননি। তিনি বলেন, এ দুর্ঘটনায় মন্ত্রীর কোনো দায় নেই। তিন মাস পর তামিলনাড়ুর আড়িয়ালপুতে আর একটি দুর্ঘটনা ঘটে এবং ১৪৪ জন মারা যান। এবার শাস্ত্রী বললেন, 'না, আর নয়। এ দায় আমার।' তিনি রেলমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন। ১৯৫৭ সালের লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস অনেক ভালো ফল লাভ করে বিজয়ী হয় এবং নেহরু পুনরায় তাঁকে মন্ত্রিসভায় ফিরিয়ে আনেন। ১৯৪৬ থেকে পরবর্তী ২০ বছর তিনি বিধানসভা, রাজ্যসভা ও লোকসভার সদস্য, নানা সময়ে ১২ বছর মন্ত্রী এবং ১ বছর ৭ মাস ভারতের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। লালবাহাদুর শাস্ত্রী খাটো ও শীর্ণ স্বাস্থ্যের হলেও তাঁর ব্যক্তিত্ব ছিল দিল্লির কুতুব মিনারের চেয়েও উঁচু। ফুলের কোমলতা ও হীরকখণ্ডের কাঠিন্য-এ দুয়ের এক অপূর্ব সংমিশ্রণ ছিল তাঁর চরিত্রে। পাকিস্তান-ভারত যুদ্ধে তাঁর সাহস ও বিচক্ষণতা ভারতবাসী চিরদিন শ্রদ্ধাবনত চিত্তে স্মরণ করবে। ভারতে তখন একদিকে চরম খাদ্যসংকট, অন্যদিকে বিদেশি আক্রমণ। এ দুই সংকটে দেশ ও জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করার জন্য তিনি একটি স্লোগান উদ্ভাবন করেন। 'জয় কিষান জয় জোয়ান'-এ স্লোগানে পুরো দেশ জেগে ওঠে। মাঠের রণকৌশলেও তিনি কুশলতার পরিচয় দেন। পাকিস্তান যে মুহূর্তে কাশ্মীর ফ্রন্টে ভালো অবস্থানে, তখন তিনি লাহোর ফ্রন্টে আক্রমণের নীতি গ্রহণ করেন। ভারতীয় বাহিনী পাকিস্তানের মূল ভূখণ্ডের প্রায় ৭৭০ মাইল অভ্যন্তরে ঢুকে পড়ে। পরে জাতিসংঘের হস্তক্ষেপে অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং তাসখন্দে স্থায়ী যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় এবং দুই দেশ যুদ্ধ-পূর্ব অবস্থানে ফেরত আসে। বর্তমান প্রজন্মের রাজনৈতিক নেতারা এ কিংবদন্তি মহাপুরুষকে কোনোভাবে মূল্যায়ন করেন বলে কি মনে হয়! ড. তোফায়েল আহমেদ শিক্ষাবিদ ও শাসনবিষয়ক গবেষক। ইমেইল: []
ইদানীং রাজনীতি,ভারত,রাজনীতি
লালবাহাদুর শাস্ত্রী (১৯০৪-১৯৬৬)
opinion
https://www.prothomalo.com/politics/২৪-ফেব্রুয়ারি-কালো-পতাকা-মিছিল-বিএনপির
২৪ ফেব্রুয়ারি কালো পতাকা মিছিল বিএনপির
কারাবন্দী বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে ২৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মহানগরীতে কালো পতাকা মিছিল করবে বিএনপি। আগামীকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগরে সমাবেশ করতে না দেওয়ার প্রতিবাদে কালো পতাকা মিছিল করা হবে বলে জানিয়েছে বিএনপি। আজ বুধবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন। রুহুল কবির রিজভী বলেন, বাংলাদেশের জনপ্রিয় নেত্রী খালেদা জিয়াকে কারাবন্দী করে ষড়যন্ত্রকারীদের প্রতিহিংসার তৃষ্ণা এখনো মিটছে না। তাই 'গণবিরোধী সরকার'-এর বিদেশি দোসররাও উঠেপড়ে লেগেছে সার্বিক চক্রান্তের জাল বুনতে। এ জন্য বিএনপি চেয়ারপারসনকে কারাগারে নেওয়ার পরে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পেছনে লেগেছে। বিএনপির চেয়ারপারসনের মুক্তির দাবিতে গণস্বাক্ষর সংগ্রহসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে দলটি। এরই অংশ হিসেবে ২২ ফেব্রুয়ারি সমাবেশ করতে চেয়েছিল বিএনপি। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছর এবং তাঁর বড় ছেলে তারেক রহমানসহ পাঁচজনকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেন। ওই রায় ঘোষণার দিনই খালেদা জিয়াকে পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডের কারাগারে রাখা হয়েছে।
বিএনপি,রাজনীতি,খালেদা জিয়া,আইন ও আদালত
রুহুল কবির রিজভী। প্রথম আলো ফাইল ছবি
politics
https://www.bhorerkagoj.com/2020/06/06/%e0%a6%89%e0%a6%a4%e0%a7%8d%e0%a6%a4%e0%a7%87%e0%a6%9c%e0%a6%a8%e0%a6%be-%e0%a6%95%e0%a6%ae%e0%a6%ac%e0%a7%87-%e0%a6%ad%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a6%a4-%e0%a6%9a%e0%a7%80%e0%a6%a8-%e0%a6%b8%e0%a7%80/
এবার উত্তেজনা কমবে ভারত-চীন সীমান্তে?
ভারত-চীন সীমান্তে গত কয়েক সপ্তাহ যাবৎ ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। সামরিক শক্তি বৃদ্ধির মধ্যেই হঠাৎ দেশ দুটি উত্তেজনা প্রশমনে উচ্চপর্যায়ের আলোচনায় সম্মত হয়। ফলে এক ভিডিও কনফারেন্সে বিরোধপূর্ণ লাদাখ সীমান্তে আলোচনার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ সমাধানে পৌঁছবে বলে সম্মত হয়। শুক্রবার (৫ মার্চ) ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে দেশ দুটির এমন অবস্থানের কথা জানানো হয়। উত্তেজনা প্রশমনে দেশ দুটির সর্বোচ্চ সামরিক জেনারেলদের এক বৈঠকের পর এমন বিবৃতিতে আসলো। এর আগে গত মে মাসে ভারতীয় সীমান্তে চীনা সৈন্যরা তিনবার প্রবেশ করেছে বলে অভিযোগ করে ভারত। এর পরেই সীমান্তে শক্তি বৃদ্ধি করতে থাকে উভয় দেশ। ভারতীয় কর্মকর্তারা জানান উভয় দেশ প্রথমে সীমান্তে মোতায়েন করা তাদের অতিরিক্ত সৈন্য প্রত্যাহারের বিষয়ে একমত হোন। উল্লেখ্য, এর আগে সীমান্ত বিরোধ নিয়ে ১৯৬২ সালে একই সীমান্তে দেশ দুটির মধ্যে এক সংক্ষিপ্ত রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের ঘটনা ঘটেছিল। তবে উত্তেজনা প্রশমনে এ বৈঠক কতটা কার্যকরী হয় তা সামনের সময়ে বুঝা যাবে।
চীন,বিরোধ,ভারত,শান্তি,সমাধান,সীমান্ত,সৈন্য
লাদাখ সীমান্ত ।
international